উইকিবই
bnwikibooks
https://bn.wikibooks.org/wiki/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8_%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A6%BE
MediaWiki 1.45.0-wmf.5
first-letter
মিডিয়া
বিশেষ
আলাপ
ব্যবহারকারী
ব্যবহারকারী আলাপ
উইকিবই
উইকিবই আলোচনা
চিত্র
চিত্র আলোচনা
মিডিয়াউইকি
মিডিয়াউইকি আলোচনা
টেমপ্লেট
টেমপ্লেট আলোচনা
সাহায্য
সাহায্য আলোচনা
বিষয়শ্রেণী
বিষয়শ্রেণী আলোচনা
উইকিশৈশব
উইকিশৈশব আলাপ
বিষয়
বিষয় আলাপ
রন্ধনপ্রণালী
রন্ধনপ্রণালী আলোচনা
TimedText
TimedText talk
মডিউল
মডিউল আলাপ
বাংলা ভাষার কবি-সাহিত্যিক
0
4645
84421
71477
2025-06-16T16:23:21Z
202.134.10.133
84421
wikitext
text/x-wiki
=== <ref>পূর্ণেন্দু পত্রী</ref>বাংলা ভাষার কবি-সাহিত্যিক ===
* [[w:বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়|বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়]]
* [[W:মাইকেল মধুসূদন দত্ত|মাইকেল মধু সূদন দত্ত]]
* [[w:ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর|ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর]]
* [[w:রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর|রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর]]
* [[w:কাজী নজরুল ইসলাম|কাজী নজরুল ইসলাম]]
* [[w:জীবনানন্দ দাশ|জীবনানন্দ দাশ]]
* [[w:প্রমথ চৌধুরী|প্রমথ চৌধুরী]]
* [[w:জসীমউদ্দীন|জসীমউদ্দীন]]
* [[w:আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ|আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ]]
* [[w:শামসুর রাহমান|শামসুর রাহমান]]
* [[w:রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ|রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ]]
* [[w:সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত|সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত]]
* [[w:সুকান্ত ভট্টাচার্য|সুকান্ত ভট্টাচার্য]]
* [[w:প্রেমেন্দ্র মিত্র|প্রেমেন্দ্র মিত্র]]
* [[w:সুবোধ ঘোষ|সুবোধ ঘোষ]]
* [[w:কমলকুমার মজুমদার|কমলকুমার ঘোষ]]
* [[w:কালী প্রসন্ন ঘোষ|কালী প্রসন্ন ঘোষ]]
* [[w:নির্মলেন্দু গুণ|নির্মলেন্দু গুণ]]
* [[w:হুমায়ূন আজাদ|হুমায়ুন আজাদ]]
* [[w:যতীন্দ্রমোহন বাগচী|যতীন্দ্রমমোহন বাগচী]]
* [[w:হুমায়ূন আহমেদ|হুমায়ূন আহমেদ]]
* [[w:আবুল ফজল|আবুল ফজল]]
* [[w:ড.মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ|ড.মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ]]
* [[w:আবু জাফর শামসুদ্দীন|আবু জাফর শামসুদ্দীন]]
* [[w:পূর্ণেন্দু দস্তিদার|পূর্ণেন্দু দস্তিদার]]
* [[w:কবীর চৌধুরী|কবীর চৌধুরী]]
* [[w:সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ|সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ]]
* [[W:তপন বন্দ্যোপাধ্যায়|তপন বন্দ্যোপাধ্যায়]]
{{বইয়ের বিষয়শ্রেণী}}
lxdnv36tg6smus0grthi8g38yjtgxoi
এইচটিএমএল/ট্যাগ/a
0
10641
84639
37015
2025-06-17T06:01:10Z
2401:1900:1053:3FB7:AC93:79FF:FEF4:6FAE
84639
wikitext
text/x-wiki
<a> ট্যাগ একটি ওয়েব পেইজের সাথে অন্য একটি ওয়েবপেইজের সংযোগ তৈরীতে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। ওয়েব পেইজের সাথে বাহ্যিক কোন ওয়েব সাইটের নির্দিষ্ট পেইজের সংযোগের ক্ষেত্রেও এটি ব্যবহার করা হয়। এটি একটি কন্টেইনার ট্যাগ।
'''উদাহরণ'''
<syntaxhighlight lang="html5">
বিস্তারিত জানতে দেখুন <a href="http://bn.wikipedia.org">উইকিপিডিয়া</a>।
</syntaxhighlight>
:<small>ফলাফল:</small> বিস্তারিত জানতে দেখুন [[:w:প্রধান পাতা|উইকিপডিয়া]]।
এখানে একটি বাহ্যিক ওয়েব পেইজের সাথে সংযোগ দেখানো হয়েছে। আপনি যদি অভ্যন্তরীণ কোন ওয়েব পেইজের সাথে সংযোগ তৈরী করতে চান তাহলে নিচের মত কর লিখুন:
<syntaxhighlight lang="html5"><a href="যে পেইজের সাথে সংযোগ দিতে চান তার নাম.html">যে নামে সংযোগ দিতে চান</a>
</syntaxhighlight>
{{বইয়ের বিষয়শ্রেণী}}
1r93sa3hjez9hex4ia291juwpnqyiju
টেমপ্লেট:উইকিশৈশবএশিয়া
10
11752
84435
84027
2025-06-16T18:52:42Z
Svartava
8192
[[Special:Contributions/103.173.31.146|103.173.31.146]] ([[User talk:103.173.31.146|আলাপ]])-এর সম্পাদিত সংস্করণ হতে [[User:MdsShakil|MdsShakil]]-এর সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণে ফেরত যাওয়া হয়েছে
30199
wikitext
text/x-wiki
#পুনর্নির্দেশ [[টেমপ্লেট:উইকিশৈশব এশিয়া]]
202jqae2jm5dc12fwl8o1f6a55zj43t
ব্যবহারকারী আলাপ:RDasgupta2020
3
17393
84473
74113
2025-06-16T23:51:30Z
Mehedi Abedin
7113
/* প্রতিযোগিতা সম্পর্কে */ নতুন অনুচ্ছেদ
84473
wikitext
text/x-wiki
== বাংলা উইকিবইয়ে স্বাগত ==
{{স্বাগত/২য় সংস্করণ}} ০৯:৪০, ১১ মার্চ ২০২৩ (ইউটিসি)
== [[উইকিবই:উইকিবই লিখন প্রতিযোগিতা ২০২৫|উইকিবই লিখন প্রতিযোগিতা ২০২৫: অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ]] ==
{| style="background-color: #f8f9fa; border: 1px solid #ced4da; padding:10px; color: #212529;"
|-
|[[File:Bangla Wikibooks Writing contest 2025 Banner (2).png|frameless|center|300px|link=[[উইকিবই:উইকিবই লিখন প্রতিযোগিতা ২০২৫]]]]<br/>
সুপ্রিয় RDasgupta2020,
আশা করি এই গ্রীষ্মের এই রৌদ্রোজ্জ্বল তপ্ত আবহাওয়াতেও ভালো আছেন। আপনার জ্ঞাতার্থে জানাচ্ছি যে, গত ৭ মে থেকে বাংলা উইকিবইয়ে '''[[উইকিবই:উইকিবই লিখন প্রতিযোগিতা ২০২৫|উইকিবই লিখন প্রতিযোগিতা ২০২৫]]''' শীর্ষক একটি বই লিখন ও অনুবাদ প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। আপনাকে এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। প্রতিযোগিতাটি অভিজ্ঞ, অনভিজ্ঞ ও নতুন ব্যবহারকারী সকলের জন্যই মুক্ত।
অন্যান্য ভাষার উইকিবইয়ের চাইতে বাংলা উইকিবইয়ে অবদানকারীর সংখ্যা নিতান্তই কম, এমনকি সংখ্যাটি বাংলা উইকিপিডিয়ার তুলনায়ও নগণ্য। অথচ ডিজিটাল বইয়ের এই যুগে বাংলা উইকিবই যথেষ্ট গুরত্বের দাবি রাখে। এজন্য আমাদের আরও স্বেচ্ছাসেবক প্রয়োজন। আশা করি আপনি এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবেন ও উইকিবইকে সমৃদ্ধ করবেন। বিস্তারিত [[উইকিবই:উইকিবই লিখন প্রতিযোগিতা ২০২৫|প্রকল্প পাতায়]] দেখুন।
'''শীর্ষ অবদানকারীদের জন্য পুরষ্কার'''
* ১ম স্থান অধিকারকারী ― ৬০০০ টাকার গিফট ভাউচার ও মুদ্রিত সনদপত্র
* ২য় স্থান অধিকারকারী ― ৪০০০ টাকার গিফট ভাউচার ও মুদ্রিত সনদপত্র
* ৩য় স্থান অধিকারকারী ― ৩০০০ টাকার গিফট ভাউচার ও মুদ্রিত সনদপত্র
* ৪র্থ স্থান অধিকারকারী ― ২৫০০ টাকার গিফট ভাউচার ও মুদ্রিত সনদপত্র
* ৫ম স্থান অধিকারকারী ― ২০০০ টাকার গিফট ভাউচার ও মুদ্রিত সনদপত্র
* ৬ষ্ঠ থেকে ১০তম স্থান অধিকারকারী (৫ জন) ― ৫০০ টাকার গিফট ভাউচার ও মুদ্রিত সনদপত্র
* কমপক্ষে একটি পাতা গৃহীত হলে ― ডিজিটাল সনদপত্র
প্রতিযোগিতায় আপনাকে স্বাগত।<br />
শুভেচ্ছান্তে, <br /> —[[ব্যবহারকারী:MdsShakil|শাকিল]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:MdsShakil|আলাপ]]) ০৬:৪৪, ১১ মে ২০২৫ (ইউটিসি)
|}
<!-- https://bn.wikibooks.org/w/index.php?title=%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%AC%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%80:MdsShakil/%E0%A6%97%E0%A6%A3%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BE&oldid=74028-এর তালিকা ব্যবহার করে বার্তাটি ব্যবহারকারী:MdsShakil@bnwikibooks পাঠিয়েছেন -->
== প্রতিযোগিতা সম্পর্কে ==
সুধী, আপনি উইকিবই প্রতিযোগিতায় অনেক লেখা জমা দিয়েছিলেন, কিন্তু নিয়ম অনুযায়ী নিবন্ধ তালিকায় কোনো পাতার নাম না থাকলে সেগুলো অনুবাদ বা তৈরি করার জন্য অনুরোধ করে যুক্ত করার নির্দেশনা দেওয়া ছিল ([[উইকিবই:উইকিবই লিখন প্রতিযোগিতা ২০২৫/বইয়ের তালিকা]] দেখুন)। কিন্তু আপনার অনেক লেখা দেখা যাচ্ছে অনুরোধ করে তালিকায় যুক্ত করেননি। তাই সেগুলো গ্রহণ করতে পারছিনা। এখানে কোনো ভুল বোঝাবুঝি থাকলে জানাতে পারেন। [[ব্যবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:Mehedi Abedin|আলাপ]]) ২৩:৫১, ১৬ জুন ২০২৫ (ইউটিসি)
qic4e1xp7jtmxcypv2glqcyogc10pap
84638
84473
2025-06-17T05:37:29Z
RDasgupta2020
8748
/* প্রতিযোগিতা সম্পর্কে */ উত্তর
84638
wikitext
text/x-wiki
== বাংলা উইকিবইয়ে স্বাগত ==
{{স্বাগত/২য় সংস্করণ}} ০৯:৪০, ১১ মার্চ ২০২৩ (ইউটিসি)
== [[উইকিবই:উইকিবই লিখন প্রতিযোগিতা ২০২৫|উইকিবই লিখন প্রতিযোগিতা ২০২৫: অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ]] ==
{| style="background-color: #f8f9fa; border: 1px solid #ced4da; padding:10px; color: #212529;"
|-
|[[File:Bangla Wikibooks Writing contest 2025 Banner (2).png|frameless|center|300px|link=[[উইকিবই:উইকিবই লিখন প্রতিযোগিতা ২০২৫]]]]<br/>
সুপ্রিয় RDasgupta2020,
আশা করি এই গ্রীষ্মের এই রৌদ্রোজ্জ্বল তপ্ত আবহাওয়াতেও ভালো আছেন। আপনার জ্ঞাতার্থে জানাচ্ছি যে, গত ৭ মে থেকে বাংলা উইকিবইয়ে '''[[উইকিবই:উইকিবই লিখন প্রতিযোগিতা ২০২৫|উইকিবই লিখন প্রতিযোগিতা ২০২৫]]''' শীর্ষক একটি বই লিখন ও অনুবাদ প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। আপনাকে এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। প্রতিযোগিতাটি অভিজ্ঞ, অনভিজ্ঞ ও নতুন ব্যবহারকারী সকলের জন্যই মুক্ত।
অন্যান্য ভাষার উইকিবইয়ের চাইতে বাংলা উইকিবইয়ে অবদানকারীর সংখ্যা নিতান্তই কম, এমনকি সংখ্যাটি বাংলা উইকিপিডিয়ার তুলনায়ও নগণ্য। অথচ ডিজিটাল বইয়ের এই যুগে বাংলা উইকিবই যথেষ্ট গুরত্বের দাবি রাখে। এজন্য আমাদের আরও স্বেচ্ছাসেবক প্রয়োজন। আশা করি আপনি এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবেন ও উইকিবইকে সমৃদ্ধ করবেন। বিস্তারিত [[উইকিবই:উইকিবই লিখন প্রতিযোগিতা ২০২৫|প্রকল্প পাতায়]] দেখুন।
'''শীর্ষ অবদানকারীদের জন্য পুরষ্কার'''
* ১ম স্থান অধিকারকারী ― ৬০০০ টাকার গিফট ভাউচার ও মুদ্রিত সনদপত্র
* ২য় স্থান অধিকারকারী ― ৪০০০ টাকার গিফট ভাউচার ও মুদ্রিত সনদপত্র
* ৩য় স্থান অধিকারকারী ― ৩০০০ টাকার গিফট ভাউচার ও মুদ্রিত সনদপত্র
* ৪র্থ স্থান অধিকারকারী ― ২৫০০ টাকার গিফট ভাউচার ও মুদ্রিত সনদপত্র
* ৫ম স্থান অধিকারকারী ― ২০০০ টাকার গিফট ভাউচার ও মুদ্রিত সনদপত্র
* ৬ষ্ঠ থেকে ১০তম স্থান অধিকারকারী (৫ জন) ― ৫০০ টাকার গিফট ভাউচার ও মুদ্রিত সনদপত্র
* কমপক্ষে একটি পাতা গৃহীত হলে ― ডিজিটাল সনদপত্র
প্রতিযোগিতায় আপনাকে স্বাগত।<br />
শুভেচ্ছান্তে, <br /> —[[ব্যবহারকারী:MdsShakil|শাকিল]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:MdsShakil|আলাপ]]) ০৬:৪৪, ১১ মে ২০২৫ (ইউটিসি)
|}
<!-- https://bn.wikibooks.org/w/index.php?title=%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%AC%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%80:MdsShakil/%E0%A6%97%E0%A6%A3%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BE&oldid=74028-এর তালিকা ব্যবহার করে বার্তাটি ব্যবহারকারী:MdsShakil@bnwikibooks পাঠিয়েছেন -->
== প্রতিযোগিতা সম্পর্কে ==
সুধী, আপনি উইকিবই প্রতিযোগিতায় অনেক লেখা জমা দিয়েছিলেন, কিন্তু নিয়ম অনুযায়ী নিবন্ধ তালিকায় কোনো পাতার নাম না থাকলে সেগুলো অনুবাদ বা তৈরি করার জন্য অনুরোধ করে যুক্ত করার নির্দেশনা দেওয়া ছিল ([[উইকিবই:উইকিবই লিখন প্রতিযোগিতা ২০২৫/বইয়ের তালিকা]] দেখুন)। কিন্তু আপনার অনেক লেখা দেখা যাচ্ছে অনুরোধ করে তালিকায় যুক্ত করেননি। তাই সেগুলো গ্রহণ করতে পারছিনা। এখানে কোনো ভুল বোঝাবুঝি থাকলে জানাতে পারেন। [[ব্যবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:Mehedi Abedin|আলাপ]]) ২৩:৫১, ১৬ জুন ২০২৫ (ইউটিসি)
:দেখুন, প্রতিযোগীতার নিয়ম আমি পড়েছি। কিন্তু রন্ধনপ্রনালী শীর্ষক অংশটির উপরে উল্লেখ ছিল যে তালিকার বহির্ভূত রন্ধনপ্রনালী নিয়েও লেখা যাবে, আর সেক্ষেত্রে কোন উল্লেখ ছিলনা যে আগে থেকে জানানোর দরকার কিনা। সেই জন্যই আমি তালিকা বহির্ভূত কিছু রন্ধনপ্রনালী যোগ করেছি। আমি যে কটি তালিকা বহির্ভূত জমা দিয়েছি সেগুলি রন্ধনপ্রনালী বিষয়ক আর বাকি কোন কিছুই তালিকা বহির্ভূত নয়। [[ব্যবহারকারী:RDasgupta2020|RDasgupta2020]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:RDasgupta2020|আলাপ]]) ০৫:৩৭, ১৭ জুন ২০২৫ (ইউটিসি)
06z55ektzjdz9jc00c09cro3xtsqc2z
ব্যবহারকারী:R1F4T/খেলাঘর
2
18619
84641
84262
2025-06-17T06:21:53Z
R1F4T
9121
84641
wikitext
text/x-wiki
;পর্যালোচনা পরিসংখ্যান
{| class="wikitable sortable"
! # !! পর্যালোচক !! পর্যালোচনা সংখ্যা
|-
| ১ || MdsShakil || ২২৩
|-
| ২ || NusJaS || ১৩২ (১৮)
|-
| ৩ || MS Sakib || ১৩১ (৩)
|-
| ৪ || Tahmid || ১০২
|-
| ৫ || R1F4T || ৯৩ (১)
|-
| ৬ || Mehedi Abedin || ৮৪
|-
| ৭ || Ishtiak Abdullah || ৫৬ (৭)
|-
| ৮ || Yahya || ৪৪
|-
| ৯ || Maruf || ৪
|}
cpctdglxg0xhhi8h0aywsfj3epyjn29
উইকিবই আলোচনা:উইকিবই লিখন প্রতিযোগিতা ২০২৫
5
22675
84419
83997
2025-06-16T15:31:08Z
RDasgupta2020
8748
/* নিবন্ধ পুনরালোচনার অনুরোধ */ উত্তর
84419
wikitext
text/x-wiki
{{উইকিবই লিখন প্রতিযোগিতা ২০২৫|সক্রিয়=6}}
== মাত্র দুুইটা ধরে রাখা যাবে? ==
@[[ব্যবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] ভাই, দয়া করে এই ব্যাপারটি লক্ষ করুন। সাধারণত উইকিপিডিয়ার মতো উইকিও আপনাকে প্রতিযোগিতায় ৩টি নিবন্ধ একসাথে ধরে রাখার সুযোগ দেয়। তাই অনুরোধ করবো সংখ্যাটা বাড়াতে। [[ব্যবহারকারী:Md Mobashir Hossain|Md Mobashir Hossain]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:Md Mobashir Hossain|আলাপ]]) ১৪:৪৮, ৩০ এপ্রিল ২০২৫ (ইউটিসি)
:আমি একসাথে দুইয়ের অধিক পাতা ধরে রাখার প্রয়োজনীয়তা দেখছি না। —[[ব্যবহারকারী:MdsShakil|শাকিল]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:MdsShakil|আলাপ]]) ১৪:৫২, ৩০ এপ্রিল ২০২৫ (ইউটিসি)
::@[[ব্যবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] ২টি পাতা নাকি ২টি বই। তাহলেই পরিষ্কার হয়ে যাবো। [[ব্যবহারকারী:Md Mobashir Hossain|Md Mobashir Hossain]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:Md Mobashir Hossain|আলাপ]]) ১৪:৫৩, ৩০ এপ্রিল ২০২৫ (ইউটিসি)
:::আপনি কোনটা মনে করেন? —[[ব্যবহারকারী:MdsShakil|শাকিল]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:MdsShakil|আলাপ]]) ১৫:০৪, ৩০ এপ্রিল ২০২৫ (ইউটিসি)
::::@[[ব্যবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] ঐখানে লেখা আছে '''পাতা''' তাই সেটাই মনে করি। [[ব্যবহারকারী:Md Mobashir Hossain|Md Mobashir Hossain]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:Md Mobashir Hossain|আলাপ]]) ১৫:৫৯, ৩০ এপ্রিল ২০২৫ (ইউটিসি)
:::::তাহলে অপ্রয়োজনীয় প্রশ্ন করে সময় নষ্ট করছেন কোন কারণে! —[[ব্যবহারকারী:MdsShakil|শাকিল]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:MdsShakil|আলাপ]]) ১৬:৩৪, ৩০ এপ্রিল ২০২৫ (ইউটিসি)
::::::@[[ব্যবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] এটা উইকিবই, এখানে বই থাকে নিবন্ধ নয়। উইকিপিডিয়ায় লেখা থাকে পাতা মানে নিবন্ধ, উক্তিতে পাতা মানে ভুক্তি, উইকিসংবাদে পাতা মানে প্রতিবেদন, উইকিভ্রমণে পাতা মানে ভ্রমণ নির্দেশিকা কিন্তু এখানে পাতা আর বই ভিন্ন ব্যাপার। তাই এই প্রশ্ন করা। এটা অপ্রয়োজনীয় হলে করতাম না কারণ আমিও এখন উক্তি প্রতিযোগিতায় ব্যস্ত। [[ব্যবহারকারী:Md Mobashir Hossain|Md Mobashir Hossain]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:Md Mobashir Hossain|আলাপ]]) ১৬:৩৭, ৩০ এপ্রিল ২০২৫ (ইউটিসি)
:::::::@[[ব্যবহারকারী:Md Mobashir Hossain|Md Mobashir Hossain]] উইকিবইয়ের পাতা মানে বইয়ের পাতা [[ব্যবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:R1F4T|আলাপ]]) ১৮:৩৬, ৩০ এপ্রিল ২০২৫ (ইউটিসি)
::ভাই আমি একটা পাতা অনুবাদ করে "প্রকাশ করুন" এ টিপ দিয়েছি।এরপর আর কিছু করা লাগবে? [[ব্যবহারকারী:Abdullah Al Hasan (Hasan)|Abdullah Al Hasan (Hasan)]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:Abdullah Al Hasan (Hasan)|আলাপ]]) ১০:০২, ৬ জুন ২০২৫ (ইউটিসি)
:::@[[ব্যবহারকারী:Abdullah Al Hasan (Hasan)|Abdullah Al Hasan (Hasan)]] পাতা জমা দিতে হবে তো [https://fountain.toolforge.org/editathons/wrcbn2025 এখানে] [[ব্যবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:R1F4T|আলাপ]]) ১০:১৩, ৬ জুন ২০২৫ (ইউটিসি)
::::sir ,"articles topic" e ki likhbo? [[ব্যবহারকারী:Abdullah Al Hasan (Hasan)|Abdullah Al Hasan (Hasan)]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:Abdullah Al Hasan (Hasan)|আলাপ]]) ১০:২৫, ৬ জুন ২০২৫ (ইউটিসি)
== অনুবাদ করতে চাই ==
Hello,I like vir.
I joint you.
Please answer my question.
https://en.m.wikibooks.org/wiki/Cognitive_Psychology_and_Cognitive_Neuroscience/Cognitive_Psychology_and_the_Brain [[ব্যবহারকারী:Ishrat Jahan Tahmid|Ishrat Jahan Tahmid]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:Ishrat Jahan Tahmid|আলাপ]]) ২৩:৩৮, ৭ মে ২০২৫ (ইউটিসি)
:amio onubad korte chai [[ব্যবহারকারী:Khalid S Noor|Khalid S Noor]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:Khalid S Noor|আলাপ]]) ২৩:০৪, ২ জুন ২০২৫ (ইউটিসি)
== রন্ধনপ্রণালী তালিকায় যুক্ত করুন ==
[[রন্ধনপ্রণালী:গ্রিলিং]] । মূল সমন্বয়ক @[[ব্যবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] কে ট্যাগ করলাম। [[ব্যবহারকারী:Md Mobashir Hossain|Md Mobashir Hossain]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:Md Mobashir Hossain|আলাপ]]) ০৩:৪৮, ৮ মে ২০২৫ (ইউটিসি)
== বিদেশি খাবার সম্পর্কে ==
বিদেশি (যেমন: ইউরোপীয়, জাপানিজ ইত্যাদি) খাবার সম্পর্কিত রন্ধনপ্রণালী প্রতিযোগিতায় গৃহীত হবে কি? বর্তমানে অনেক বিদেশী খাবার বাংলাদেশ, ভারতে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে । [[ব্যবহারকারী:Md Rashidul Hasan Biplob|Md Rashidul Hasan Biplob]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:Md Rashidul Hasan Biplob|আলাপ]]) ১২:৪৭, ৮ মে ২০২৫ (ইউটিসি)
:@[[ব্যবহারকারী:Md Rashidul Hasan Biplob|Md Rashidul Hasan Biplob]] ভাই, সব খাবার গণহারে দেওয়া হবে না (আমি যদ্দুর জানি)। আপনাকে নির্ধারিত তালিকা দিতে হবে যা আয়োজকদল গ্রহণ করবে অথবা নাও করতে পারে। [[ব্যবহারকারী:Md Mobashir Hossain|Md Mobashir Hossain]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:Md Mobashir Hossain|আলাপ]]) ১৫:১০, ৮ মে ২০২৫ (ইউটিসি)
== উক্ত কাজটি কিভাবে সম্পন্ন করবো? আপনার পছন্দসই পাতার পাশে থাকা ইংরেজি উইকিবইয়ের পাতাটি নতুন একটি ট্যাবে ওপেন করুন ও পাতায় থাকা সম্পাদনা আইকনে ক্লিক করে পুরো পাতার পাঠ্য কপি করুন। ==
আপনার পছন্দসই পাতার পাশে থাকা ইংরেজি উইকিবইয়ের পাতাটি নতুন একটি ট্যাবে ওপেন করুন ও পাতায় থাকা সম্পাদনা আইকনে ক্লিক করে পুরো পাতার পাঠ্য কপি করুন।দয়া করে জানাবেন [[ব্যবহারকারী:M.A. Fahad|M.A. Fahad]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:M.A. Fahad|আলাপ]]) ১৮:৪৮, ৮ মে ২০২৫ (ইউটিসি)
== অনুবাদ করতে চাই ==
একটির বেশি বই [[বিশেষ:অবদান/118.179.176.189|118.179.176.189]] ২১:১১, ৮ মে ২০২৫
== তালিকাতে নেই ==
[[:en:Electromagnetic_radiation|Electromagnetic radiation]], [[:en:Engineering_Acoustics|Engineering Acoustics]] - বই দুটো পুরো অনুবাদ করতে চাচ্ছি। [[ব্যবহারকারী:Somajyoti|Somajyoti]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:Somajyoti|আলাপ]]) ২০:৫০, ৯ মে ২০২৫ (ইউটিসি)
BTS ARMY
:@[[ব্যবহারকারী:Somajyoti|Somjyoti]] [[:en:Electromagnetic radiation|Electromagnetic radiation]] {{done}} [[ব্যবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:R1F4T|আলাপ]]) ০৬:০৫, ১৬ মে ২০২৫ (ইউটিসি)
:@[[ব্যবহারকারী:Somajyoti|Somajyoti]] Engineering Acoustics {{done}} [[ব্যবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:R1F4T|আলাপ]]) ০৫:২৯, ১৭ মে ২০২৫ (ইউটিসি)
== রন্ধনপ্রণালী নাম স্থানের পাতা সমূহ ==
রন্ধনপ্রণালী নাম স্থানের পাতায় আরও দেখুন থাকবে না, কিছু ক্ষেত্রে বহিঃসংযোগ থাকতে পারে তবে না থাকাটাই ভালো। রন্ধনপ্রণালী নিয়ে লিখতে চাইলে ফরম্যাট ও কীভাবে লিখতে হবে জানতে [[রন্ধনপ্রণালী:সমুচা]] পাতাটি দেখুন ও এটাই অনুসরণ করুন। আয়োজক দলের পক্ষে, —[[ব্যবহারকারী:MdsShakil|শাকিল]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:MdsShakil|আলাপ]]) ০৯:০০, ১১ মে ২০২৫ (ইউটিসি)
== মুদ্রণযোগ্য সংস্করণ সম্বন্ধে ==
'''আয়োজক(দের/এর) প্রতি:''' আমার পূর্ব অভিজ্ঞতা অনুযায়ী মুদ্রণযোগ্য সংস্করণগুলো প্রতিযোগিতায় গ্রহণযোগ্য নয়; যেহেতু এখানে টেমপ্লেটের মাধ্যমে অন্য পাতাগুলো দেখানো হয় মাত্র। যদিও বেশি সময় লাগে না, তারপরেও, প্রতিযোগিতার উদ্দেশ্যে কেউ তৈরি করার পর গৃহীত না হলে খামোখা হতাশ হবেন। এই বিষয়টা প্রতিযোগীদের মধ্যে খোলসা করে দেওয়া উচিত। [[ব্যবহারকারী:কমলেশ মন্ডল|কমলেশ মন্ডল]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:কমলেশ মন্ডল|আলাপ]]) ১৩:৩২, ১১ মে ২০২৫ (ইউটিসি)
:@[[ব্যবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] ভাইকে মেনশন করলাম। [[ব্যবহারকারী:Md Mobashir Hossain|Md Mobashir Hossain]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:Md Mobashir Hossain|আলাপ]]) ০৪:০৮, ১৩ মে ২০২৫ (ইউটিসি)
::ওইরকম পাতা গৃহীত হবে না। —[[ব্যবহারকারী:MdsShakil|শাকিল]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:MdsShakil|আলাপ]]) ০৫:১১, ১৩ মে ২০২৫ (ইউটিসি)
:::সেক্ষেত্রে তালিকা থেকে ওই পাতাগুলো সরানো বা প্রতিযোগিতা পাতায় বিষয়টি উল্লেখ করলে ভালো হয় [[ব্যবহারকারী:MD Abu Siyam|MD Abu Siyam]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:MD Abu Siyam|আলাপ]]) ০৭:৪২, ১৩ মে ২০২৫ (ইউটিসি)
== মাসালা র কিতাব ==
যেকোনো মাস আলা জানার জন্য [[বিশেষ:অবদান/103.204.209.73|103.204.209.73]] ১৫:১৮, ১৫ মে ২০২৫ (ইউটিসি)
== তালিকায় বই যোগ ==
দয়া করে বইয়ের তালিকায় [[Rhetoric and Writing in the Public Sphere: An Introduction]] ইংরেজি বইটা যোগ করে দেন। [[ব্যবহারকারী:Asikur.rahman25|Asikur.rahman25]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:Asikur.rahman25|আলাপ]]) ২০:১৬, ১৫ মে ২০২৫ (ইউটিসি)
:{{করা হয়নি}} অসম্পূর্ণ বই [[ব্যবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:R1F4T|আলাপ]]) ০৭:০৩, ১৬ মে ২০২৫ (ইউটিসি)
== তালিকায় যুক্তকরণ প্রসঙ্গে ==
[[en:C# Programming]] বইটি তালিকায় যুক্ত করলে ভালো হতো, বইটি অতীব জরুরী। [[ব্যবহারকারী:Md Mobashir Hossain|Md Mobashir Hossain]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:Md Mobashir Hossain|আলাপ]]) ১৪:৫২, ১৬ মে ২০২৫ (ইউটিসি)
:আর এই বইটাকেও যুক্তকরণ করা যেতে পারে। [[en:OpenSSH]] [[ব্যবহারকারী:Md Mobashir Hossain|Md Mobashir Hossain]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:Md Mobashir Hossain|আলাপ]]) ১৪:৫৪, ১৬ মে ২০২৫ (ইউটিসি)
:@[[ব্যবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] ভাইকে এই দিকে সক্রিয় দেখছি তাই ট্যাগ করলাম। [[ব্যবহারকারী:Md Mobashir Hossain|Md Mobashir Hossain]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:Md Mobashir Hossain|আলাপ]]) ০৮:৫২, ১৭ মে ২০২৫ (ইউটিসি)
::@[[ব্যবহারকারী:Md Mobashir Hossain|Md Mobashir Hossain]] প্রোগ্রামিং সম্পর্কিত পাতা যোগ করা হবে না আর [[ব্যবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:R1F4T|আলাপ]]) ১০:৪৬, ১৭ মে ২০২৫ (ইউটিসি)
:::কেন তা কি জানতে পারি? @[[ব্যবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] ভাই। একটি বই থাকার কারণে? [[ব্যবহারকারী:Md Mobashir Hossain|Md Mobashir Hossain]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:Md Mobashir Hossain|আলাপ]]) ১২:১১, ১৭ মে ২০২৫ (ইউটিসি)
::::@[[ব্যবহারকারী:Md Mobashir Hossain|Md Mobashir Hossain]] না। বিভিন্ন কারণে প্রথমত কোড যাচাই করণ আমি যতদূর দেখেছি কোড কম্পাইল হয়না ইংরেজি সংস্করণেরটাই এছাড়াও বেশ কিছু সমস্যা [[ব্যবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:R1F4T|আলাপ]]) ১৩:১৩, ১৭ মে ২০২৫ (ইউটিসি)
== একটা বিষয় জানার ছিলো ==
আচ্ছা আমাদের যে সমস্ত পৃষ্ঠা গ্রহণ যোগ্য তার জন্য কি আমরা নম্বর পাবো না? এখনো আমাদের কোন নাম্বার যোগ হচ্ছে না কেন? বিশেষ করে আমার। আর গ্রহণযোগ্য না হলেও তো সেটও তো জানাবেন। [[ব্যবহারকারী:Editobd|Editobd]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:Editobd|আলাপ]]) ০৮:০৬, ১৭ মে ২০২৫ (ইউটিসি)
== নতুন বইয়ের প্রস্তাব ==
'''১. [https://en.wikibooks.org/wiki/High_school_physics High School Physics]'''
এই বইটি মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের জন্য পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ক একটি সহজবোধ্য পাঠ্যবই। এতে নিউটনের সূত্র, বল, গতি, শক্তি ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সহজ ভাষায় উপস্থাপন করা হয়েছে। আমি নিজে বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র, তাই এই বইটি অনুবাদ করা আমার পক্ষে সহজ ও উপযুক্ত হবে।
'''২. [https://en.m.wikibooks.org/wiki/Study_Skills/Managing_Your_Time Study Skills: Managing Your Time]'''
এই বইটি ছাত্রদের সময় ব্যবস্থাপনার কৌশল শেখায়, যা এইচএসসি পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক। আমি মনে করি এটি অনুবাদ করলে অনেক শিক্ষার্থী উপকৃত হবে। বইটি ছোট এবং সহজ, তাই কার্যকরভাবে অনুবাদ করা সম্ভব।
--[[ব্যবহারকারী:Torikul Islam Tarek|Torikul Islam Tarek]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:Torikul Islam Tarek|আলাপ]]) ১৬:১৯, ১৭ মে ২০২৫ (ইউটিসি)
:@[[ব্যবহারকারী:Torikul Islam Tarek|Torikul Islam Tarek]] করা হয়েছে। —[[ব্যবহারকারী:MdsShakil|শাকিল]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:MdsShakil|আলাপ]]) ১৪:২২, ১৯ মে ২০২৫ (ইউটিসি)
== মোঃ জাফর ==
১২২৩৫৫৫৬৬ [[বিশেষ:অবদান/36.50.116.26|36.50.116.26]] ১৮:০১, ১৭ মে ২০২৫ (ইউটিসি)
== সংশোধিত পাতা পুনরায় চেক ==
@[[ব্যবহারকারী:NusJaS|NusJaS]]S আমার রন্ধনপ্রণালীর গৃহীত না হওয়া পাতাগুলো সংশোধন করা হয়েছে, আবার চেক করার অনুরোধ করছি [[ব্যবহারকারী:Sheikh Mehedi Hassan|Sheikh Mehedi Hassan]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:Sheikh Mehedi Hassan|আলাপ]]) ১২:২২, ১৮ মে ২০২৫ (ইউটিসি)
==রন্ধনপ্রনালী সম্পর্কিত==
আচ্ছা রন্ধনপ্রনালীর পৃষ্ঠাতে কি তথ্যসূত্র দেওয়ার প্রয়োজন আছে? কারন নমুনা হিসাবে যে পাতাটি দেওয়া হয়েছে তাতে তথ্যসূত্র সংযোজিত নেই। [[ব্যবহারকারী:RDasgupta2020|RDasgupta2020]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:RDasgupta2020|আলাপ]]) ০৫:২৮, ১৯ মে ২০২৫ (ইউটিসি)
:নমুনা পাতার চেয়ে কম সুসংগঠিত হলে তা সংশোধন করতে হবে। কিন্তু তথ্যসূত্র, অন্যান্য বিষয় যোগ করে উন্নত করতে পারলে তা অবশ্যই ভালো।@[[ব্যবহারকারী:RDasgupta2020|RDasgupta2020]] [[ব্যবহারকারী:Md Rashidul Hasan Biplob|Md Rashidul Hasan Biplob]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:Md Rashidul Hasan Biplob|আলাপ]]) ১০:০১, ২৩ মে ২০২৫ (ইউটিসি)
== তালিকায় যোগ ==
# {{eb|Movie Making Manual|চলচ্চিত্র নির্মাণ নির্দেশিকা}} (সম্পূর্ণ বই)
# {{eb|Visual Arts Of The Indian Subcontinent|ভারতীয় উপমহাদেশের দৃশ্যকলা}}
# {{eb|Chromolithography|ক্রোমোলিথোগ্রাফি}}
# {{eb|Chromolithography/Estimating, Assessing and Producing|ক্রোমোলিথোগ্রাফি/অনুমান, মূল্যায়ন এবং উৎপাদন}}
তালিকায় যোগ করার আবেদন রইল। [[ব্যবহারকারী:কমলেশ মন্ডল|কমলেশ মন্ডল]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:কমলেশ মন্ডল|আলাপ]]) ০৭:০৯, ১৯ মে ২০২৫ (ইউটিসি)
== তালিকার বাইরে একটি পাতা অনুবাদ করতে চাই ==
History of the Nawabs of Bengal/List of Conflicts এই পাতাটি অনুবাদ করতে চাই [[ব্যবহারকারী:Sheikh Mehedi Hassan|Sheikh Mehedi Hassan]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:Sheikh Mehedi Hassan|আলাপ]]) ১৩:৫৪, ১৯ মে ২০২৫ (ইউটিসি)
:{{করা হয়নি}} একেবারে অসম্পূর্ণ বই। —[[ব্যবহারকারী:MdsShakil|শাকিল]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:MdsShakil|আলাপ]]) ১৪:২৩, ১৯ মে ২০২৫ (ইউটিসি)
== বই যুক্তের আবেদন ==
US History বইটি যুক্ত করার আবেদন করছি [[ব্যবহারকারী:Sheikh Mehedi Hassan|Sheikh Mehedi Hassan]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:Sheikh Mehedi Hassan|আলাপ]]) ১৩:৫৮, ১৯ মে ২০২৫ (ইউটিসি)
:@[[ব্যবহারকারী:Sheikh Mehedi Hassan|Sheikh Mehedi Hassan]] বইটি যোগ করা হবে। তার আগে আপনি [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস]] নামে পাতাটির অনুবাদ শেষ করুন। ≈ <b style="border:1.5px solid #736AFF;font-family:georgia;font-variant:small-caps">[[User:MS_Sakib|<b style="background-color:#FBB117;color:#7E2217">MS Sakib </b>]][[User talk:MS Sakib| «আলাপ»]]</b> ১৫:২৬, ১৯ মে ২০২৫ (ইউটিসি)
::অনুবাদ করেছি [[ব্যবহারকারী:Sheikh Mehedi Hassan|Sheikh Mehedi Hassan]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:Sheikh Mehedi Hassan|আলাপ]]) ১৮:৪০, ১৯ মে ২০২৫ (ইউটিসি)
:::@[[ব্যবহারকারী:Sheikh Mehedi Hassan|Sheikh Mehedi Hassan]] তালিকাভুক্তির জন্য গ্রহণযোগ্য। আপনিই তালিকায় যুক্ত করতে পারেন অথবা এখান ্থেকেই অনুবাদ করতে থাকুন। ≈ <b style="border:1.5px solid #736AFF;font-family:georgia;font-variant:small-caps">[[User:MS_Sakib|<b style="background-color:#FBB117;color:#7E2217">MS Sakib </b>]][[User talk:MS Sakib| «আলাপ»]]</b> ২১:৫৯, ২৩ মে ২০২৫ (ইউটিসি)
::::প্রস্তাব পাতা থেকেই অনুবাদ শুরু করে দিলে, অন্য প্রতিযোগীরা কীভাবে সেই বই নিয়ে কাজ করবে? নতুন অবদানকারীরা হয়তো এই প্রস্তাব পাতায় আসবেও না।
::::আমার মতো অনেকে হয়তো, অবদান রাখার জন্য তালিকায় নতুন বই যুক্তের অপেক্ষায় রয়েছে। সেই ফাঁকে কেবল প্রস্তাবনা দিয়েই যদি কেউ সেই বই নিয়ে কাজ শুরু করে দেয়, তাহলে সেটা কি আদৌ ন্যায্য হলো? [[ব্যবহারকারী:MD Abu Siyam|MD Abu Siyam]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:MD Abu Siyam|আলাপ]]) ১৮:৪৪, ২৪ মে ২০২৫ (ইউটিসি)
== অনুবাদ করতে চাই ==
অনুবাদ করতে চাই [[ব্যবহারকারী:Taysirul Islam Shuvo|Taysirul Islam Shuvo]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:Taysirul Islam Shuvo|আলাপ]]) ১৩:৩৮, ২৩ মে ২০২৫ (ইউটিসি)
== ভুলক্রমে তালিকায় না থাকা বই যোগের অনুরোধ==
নিম্নের সূচিপত্র বিশিষ্ট বইটি আমি অনুবাদ করেছি। "শুধুমাত্র আয়োজকরা প্রতিযোগিতার জন্য বই যোগ করতে পারবে" —এটা প্রকল্প পাতা থেকে স্পষ্ট না হতে পেরে তালিকায় তোলা হয়নি।
তবে আমি ধ্বংসাত্মক কিছু না করায় তালিকায় যোগ করার অনুরোধ করছি। আর প্রকল্প পাতায় নিয়মটি স্পষ্ট করার অনুরোধ করছি।
=== [[সম্পর্ক]] ===
# {{eb|Relationships|সম্পর্ক}}
# {{eb|Relationships/The Evolution of the Human Brain|সম্পর্ক/মানব মস্তিষ্কের বিকাশ}}
# {{eb|Relationships/The_Evolution_of_the_Human_Brain#The_Triune_Brain|সম্পর্ক/মানব মস্তিষ্কের বিকাশ/ত্রয়ী মস্তিষ্ক}}
# {{eb|Relationships/The_Evolution_of_the_Human_Brain#Natural vs. Sexual Selection|সম্পর্ক/মানব মস্তিষ্কের বিকাশ/প্রাকৃতিক বনাম যৌন নির্বাচন}}
# {{eb|Relationships/The_Evolution_of_the_Human_Brain#Did cerebral Cortex evolve by sexual selection?|সম্পর্ক/মানব মস্তিষ্কের বিকাশ/সেরিব্রাল কর্টেক্স কি যৌন নির্বাচনে বিকশিত?}}
# {{eb|Relationships/Hormones#Do Men and Women Have Different Sex Drives?|সম্পর্ক/হরমোন/পুরুষ এবং মহিলাদের ভিন্ন যৌনতা?}}
# {{eb|Relationships/Hormones#Pheromones|সম্পর্ক/হরমোন/ফেরোমন}}
# {{eb|Relationships/Hormones#Oxytocin|সম্পর্ক/হরমোন/অক্সিটোসিন}}
# {{eb|Relationships/Hormones#Testosterone|সম্পর্ক/হরমোন/টেস্টোস্টেরন}}
# {{eb|Relationships/Hormones#Estrogen and Progesterone|সম্পর্ক/হরমোন/ইস্ট্রোজেন ও প্রজেস্টেরন}}
# {{eb|Relationships/Hormones|সম্পর্ক/হরমোন}}
# {{eb|Relationships/How Our Ancestors Lived|সম্পর্ক/পূর্বপুরুষ}}
# {{eb|Relationships/How Our Ancestors Lived#Industrial-Information Society|সম্পর্ক/পূর্বপুরুষ/শিল্প-তথ্য সমিতি}}
# {{eb|Relationships/How Our Ancestors Lived#Idyllic Lifestyle|সম্পর্ক/পূর্বপুরুষ/মনোরম জীবনধারা}}
# {{eb|Relationships/How Our Ancestors Lived#Egalitarian Groups|সম্পর্ক/পূর্বপুরুষ/সমতাবাদী গোষ্ঠী}}
# {{eb|Relationships/How Our Ancestors Lived#Limited Polygyny|সম্পর্ক/পূর্বপুরুষ/সীমিত বহুবিবাহ}}
# {{eb|Relationships/How Our Ancestors Lived#Were Our Ancestors Monogamous or Polygamous?|সম্পর্ক/পূর্বপুরুষ/আমাদের পূর্বপুরুষরা কি একগামী ছিলেন নাকি বহুগামী ছিলেন?}}
# {{eb|Relationships/How Our Ancestors Lived#Agricultural Societies|সম্পর্ক/পূর্বপুরুষ/কৃষি সমিতি}}
# {{eb|Relationships/Communication Styles|সম্পর্ক/যোগাযোগ}}
# {{eb|Relationships/Communication Styles#The Great Male Hierarchy|সম্পর্ক/যোগাযোগ/মহান পুরুষ শ্রেণিবিন্যাস}}
# {{eb|Relationships/Communication Styles#Women’s Support Circles|সম্পর্ক/যোগাযোগ/নারীর সহযোগী চক্র}}
# {{eb|Relationships/Communication Styles#Women's Culture, Men's Culture|সম্পর্ক/যোগাযোগ/নারীর রীতি, পুরুষের রীতি}}
# {{eb|Relationships/How Men Select Women|সম্পর্ক/পুরুষের নারী নির্বাচন}}
# {{eb|How Men Select Women#Youth|সম্পর্ক/পুরুষের নারী নির্বাচন/যৌবন}}
# {{eb|How Men Select Women#Beauty|সম্পর্ক/পুরুষের নারী নির্বাচন/সৌন্দর্য}}
# {{eb|How Men Select Women#Education and Employment|সম্পর্ক/পুরুষের নারী নির্বাচন/শিক্ষা ও কর্মজীবন}}
# {{eb|How Men Select Women#Emotional Connection|সম্পর্ক/পুরুষের নারী নির্বাচন/আবেগ}}
# {{eb|Relationships/How Women Select Men|সম্পর্ক/নারীর পুরুষ নির্বাচন}}
# {{eb|Relationships/How Women Select Men#Trait preferences|সম্পর্ক/নারীর পুরুষ নির্বাচন/পছন্দের বৈশিষ্ট্য}}
# {{eb|Relationships/How Women Select Men#Relationship Skills|সম্পর্ক/নারীর পুরুষ নির্বাচন/সম্পর্কের দক্ষতা}}
# {{eb|Relationships/How Women Select Men#Emotional Connection|সম্পর্ক/নারীর পুরুষ নির্বাচন/আবেগ}}
# {{eb|Relationships/Monogamy and Polygamy|সম্পর্ক/একগামিতা এবং বহুগামিতা}}
# {{eb|Relationships/Monogamy and Polygamy#Women-Egalitarian Sisterhood|সম্পর্ক/একগামিতা এবং বহুগামিতা/মহিলা-সমকালীন বোনতা}}
# {{eb|Relationships/Monogamy and Polygamy#Women's Power|সম্পর্ক/একগামিতা এবং বহুগামিতা/নারীর ক্ষমতায়ন}}
# {{eb|Relationships/Monogamy and Polygamy#Increasing Status via Hypergamy|সম্পর্ক/একগামিতা এবং বহুগামিতা/হাইপারগ্যামির মাধ্যমে স্ট্যাটাস বৃদ্ধি}}
# {{eb|Relationships/Monogamy and Polygamy#Careers vs. Motherhood|সম্পর্ক/একগামিতা এবং বহুগামিতা/ক্যারিয়ার বনাম মাতৃত্ব}}
# {{eb|Relationships/Monogamy and Polygamy#Men-Masters, Slaves, and Welfare Cheats|সম্পর্ক/একগামিতা এবং বহুগামিতা/পুরুষ-দক্ষ , দাস, এবং কল্যাণ প্রতারণা}}
# {{eb|Relationships/Monogamy and Polygamy#Class Stratification|সম্পর্ক/একগামিতা এবং বহুগামিতা/শ্রেণী স্তরবিন্যাস}}
# {{eb|Relationships/Monogamy and Polygamy#Incest, Child Abuse, and Wife Battering|সম্পর্ক/একগামিতা এবং বহুগামিতা/অজাচার, শিশু নির্যাতন, এবং স্ত্রী নির্যাতন}}
# {{eb|Relationships/Monogamy and Polygamy#Welfare Fraud |সম্পর্ক/একগামিতা এবং বহুগামিতা/কল্যাণ জালিয়াতি}}
# {{eb|Relationships/Monogamy and Polygamy#Violence in Polygynous Societies|সম্পর্ক/একগামিতা এবং বহুগামিতা/বহুগামী সমাজে সহিংসতা}}
# {{eb|Relationships/Monogamy and Polygamy#Judaism, Christianity, Islam, and Polygyny|সম্পর্ক/একগামিতা এবং বহুগামিতা/ইহুদি, খ্রিস্টধর্ম, ইসলাম এবং বহুবিবাহ}}
# {{eb|Relationships/Monogamy and Polygamy#Contemporary Monogamy and Polygamy|সম্পর্ক/একগামিতা এবং বহুগামিতা/সমসাময়িক একবিবাহ এবং বহুবিবাহ}}
# {{eb|Relationships/Monogamy and Polygamy#Men's and Women's Desired Number of Partners|সম্পর্ক/একগামিতা এবং বহুগামিতা/পুরুষ এবং মহিলাদের কাঙ্ক্ষিত সঙ্গীর সংখ্যা}}
# {{eb|Relationships/Monogamy and Polygamy#When Masculine Sexuality Is Acceptable|সম্পর্ক/একগামিতা এবং বহুগামিতা/যখন পুরুষতান্ত্রিক যৌনতা গ্রহণযোগ্য}}
# {{eb|Relationships/Monogamy and Polygamy#Stress and Promiscuity|সম্পর্ক/একগামিতা এবং বহুগামিতা/মানসিক চাপ এবং অশ্লীলতা}}
# {{eb|Relationships/Monogamy and Polygamy#Sexual Satisfaction in Monogamous Relationships|সম্পর্ক/একগামিতা এবং বহুগামিতা/একগামী সম্পর্কের ক্ষেত্রে যৌন তৃপ্তি}}
# {{eb|Relationships/Monogamy and Polygamy#Is There a "Marriage Crisis"?|সম্পর্ক/একগামিতা এবং বহুগামিতা/"বিবাহ সংকট" কি আছে?}}
# {{eb|Relationships/Monogamy and Polygamy#Serial Monogamy Tends Toward Polyandry|সম্পর্ক/একগামিতা এবং বহুগামিতা/ধারাবাহিক একবিবাহ বহুপতিত্বের দিকে ঝোঁক দেয়}}
# {{eb|Relationships/Monogamy and Polygamy#African-American Marriage and Polygyny|সম্পর্ক/একগামিতা এবং বহুগামিতা/আফ্রিকান-আমেরিকান বিবাহ এবং বহুবিবাহ}}
# {{eb|Relationships/Childhood|সম্পর্ক/শৈশব}}
# {{eb|Relationships/Adolescence|সম্পর্ক/কৈশোর}}
# {{eb|Relationships/Adolescence#Anima and Animus|সম্পর্ক/কৈশোর/পুরুষের মাতৃত্ববোধ ও কুসংস্কার}}
# {{eb|Relationships/Adolescence#Projection|সম্পর্ক/কৈশোর/প্রদর্শন}}
# {{eb|Relationships/Adolescence#Becoming Your Object of Desire|সম্পর্ক/কৈশোর/আকাঙ্ক্ষার বস্তু হয়ে উঠুন}}
# {{eb|Relationships/Adolescence#Developing an Adult Identity|সম্পর্ক/কৈশোর/প্রাপ্তবয়স্কদের পরিচয় গড়ে তোলা}}
# {{eb|Relationships/Adolescence#Adolescent Friendship|সম্পর্ক/কৈশোর/কিশোর বন্ধুত্ব}}
# {{eb|Relationships/Adulthood|সম্পর্ক/প্রাপ্তবয়স্কতা}}
# {{eb|Relationships/Adulthood#30s: Stuck Between Adolescence and Adulthood|সম্পর্ক/প্রাপ্তবয়স্কতা/৩০ এর দশক: কৈশোর এবং প্রাপ্তবয়স্কতার মধ্যে আটকে থাকা}}
# {{eb|Relationships/Adulthood#Adult Friendship|সম্পর্ক/প্রাপ্তবয়স্কতা/বন্ধুত্ব}}
# {{eb|Relationships/Adulthood#Companionate Marriages|সম্পর্ক/প্রাপ্তবয়স্কতা/জীবনসঙ্গী}}
# {{eb|Relationships/Adulthood#Your Village of Relationships|সম্পর্ক/প্রাপ্তবয়স্কতা/সম্পর্কের স্থল}}
# {{eb|Relationships/Agape|সম্পর্ক/অ্যাগাপে}}
# {{eb|Relationships/Where Couples Met|সম্পর্ক/দম্পতিরা কোথায় মিলিত হয়}}
# {{eb|Relationships/Where Couples Met#Who Introduced Couples|সম্পর্ক/দম্পতিরা কোথায় মিলিত হয়/পরিচয় করায় কে?}}
# {{eb|Relationships/Where Couples Met#Similarity and Dissimilarity|সম্পর্ক/দম্পতিরা কোথায় মিলিত হয়/সাদৃশ্য এবং বৈষম্য}}
# {{eb|Relationships/Where Couples Met#Where to Meet Single Men and Women|সম্পর্ক/দম্পতিরা কোথায় মিলিত হয়/বসবেন কোথায়?}}
# {{eb|Relationships/Where Couples Met#Two Contradictory Rules for Attracting Women|সম্পর্ক/দম্পতিরা কোথায় মিলিত হয়/নারীদের আকৃষ্ট করার দুটি অদ্ভুত নিয়ম}}
# {{eb|Relationships/Where Couples Met#Man Shortage or Woman Shortage?|সম্পর্ক/দম্পতিরা কোথায় মিলিত হয়/পুরুষের অভাব নাকি নারীর অভাব?}}
# {{eb|Relationships/Where Couples Met#Man Shortage or Commitment Shortage?|সম্পর্ক/দম্পতিরা কোথায় মিলিত হয়/পুরুষের অভাব নাকি প্রতিশ্রুতির অভাব?}}
# {{eb|Relationships/Where Couples Met#Create Your Own Man- or Woman-Advantage|সম্পর্ক/দম্পতিরা কোথায় মিলিত হয়/আপনার নিজের পুরুষ- অথবা নারী-সুবিধা তৈরি করুন}}
# {{eb|Relationships/Flirting|সম্পর্ক/প্রণয়চাতুর্য}}
# {{eb|Relationships/Flirting#Babysitting Lessons|সম্পর্ক/প্রণয়চাতুর্য/বেবিসিটিং পাঠ}}
# {{eb|Relationships/Flirting#Flirt with Everyone|সম্পর্ক/প্রণয়চাতুর্য/সবার সাথে প্রেমের ভান}}
# {{eb|Relationships/Flirting#Peek-a-Boo|সম্পর্ক/প্রণয়চাতুর্য/উঁকি দিয়ে দেখুন}}
# {{eb|Relationships/Flirting#"Speed Dating"|সম্পর্ক/প্রণয়চাতুর্য/"স্পিড ডেটিং"}}
# {{eb|Relationships/Flirting#Compliments|সম্পর্ক/প্রণয়চাতুর্য/প্রশংসা}}
# {{eb|Relationships/Flirting#Transition Points|সম্পর্ক/প্রণয়চাতুর্য/মোর নিন}}
# {{eb|Relationships/Flirting#Making a Date|সম্পর্ক/প্রণয়চাতুর্য/স্পষ্ট হোন}}
# {{eb|Relationships/Flirting#Dress for Sex|সম্পর্ক/প্রণয়চাতুর্য/পোশাক}}
# {{eb|Relationships/Flirting#Dream Houses, Dream Relationships|সম্পর্ক/প্রণয়চাতুর্য/স্বপ্নের ঘর, স্বপ্নের সম্পর্ক}}
# {{eb|Relationships/How to Write a Personal Ad|সম্পর্ক/ব্যক্তিগত বিজ্ঞাপন}}
# {{eb|Relationships/How to Write a Personal Ad#Examples|সম্পর্ক/ব্যক্তিগত বিজ্ঞাপন/উদাহরণ}}
# {{eb|Relationships/How to Write a Personal Ad#Making Personal Ads Work|সম্পর্ক/ব্যক্তিগত বিজ্ঞাপন/ব্যক্তিগত বিজ্ঞাপন কার্যকর করা}}
# {{eb|Relationships/How to Write a Personal Ad#Responding to Personal Ads|সম্পর্ক/ব্যক্তিগত বিজ্ঞাপন/ব্যক্তিগত বিজ্ঞাপনের প্রতিক্রিয়া জানানো}}
# {{eb|Relationships/How to Write a Personal Ad#The Future of Personal Ads|সম্পর্ক/ব্যক্তিগত বিজ্ঞাপন/ব্যক্তিগত বিজ্ঞাপনের ভবিষ্যৎ}}
# {{eb|Relationships/Dating|সম্পর্ক/ডেটিং}}
# {{eb|Relationships/Dating#Emotional Range|সম্পর্ক/ডেটিং/আবেগের পরিসর}}
# {{eb|Relationships/Dating#What to Do on a Date|সম্পর্ক/ডেটিং/ডেটে কী করবেন?}}
# {{eb|Relationships/Dating#Group Dates|সম্পর্ক/ডেটিং/গ্রুপ ডেট}}
# {{eb|Relationships/Dating#The Best Date a Man Can Take a Woman On|সম্পর্ক/ডেটিং/একজন পুরুষ কোন নারীকে যে সেরা ডেটে নিতে পারে}}
# {{eb|Relationships/Dating#The Best Date a Woman Can Take a Man On|সম্পর্ক/ডেটিং/একজন নারী কোন পুরুষকে যে সেরা ডেটে নিতে পারে}}
# {{eb|Relationships/Dating#Ending the Date|সম্পর্ক/ডেটিং/ডেটের শেষটা}}
# {{eb|Relationships/Dating#Alcohol and Sexual Intimacy|সম্পর্ক/ডেটিং/অ্যালকোহল এবং যৌন ঘনিষ্ঠতা}}
# {{eb|Relationships/Dating#11 Dating Mistakes Men Make|সম্পর্ক/ডেটিং/পুরুষদের ডেটিংয়ে করা ১১টি ভুল}}
# {{eb|Relationships/Dating#3 Dating Mistakes Women Make|সম্পর্ক/ডেটিং/ডেটিংয়ে নারীদের করা ৩টি ভুল}}
# {{eb|Relationships/Sex|সম্পর্ক/যৌনতা}}
# {{eb|Relationships/Sex#Physiological aspects|সম্পর্ক/যৌনতা/শারীরবৃত্তীয় দিক}}
# {{eb|Relationships/Sex#Social and cultural aspects|সম্পর্ক/যৌনতা/সামাজিক ও সাংস্কৃতিক দিক}}
# {{eb|Relationships/Couples|সম্পর্ক/দম্পতি}}
# {{eb|Relationships/Couples#Permanently Passive Women|সম্পর্ক/দম্পতি/স্থায়ীভাবে নিষ্ক্রিয় নারী}}
# {{eb|Relationships/Couples#Permanent Pursuers|সম্পর্ক/দম্পতি/স্থায়ী অনুসরণকারীরা}}
# {{eb|Relationships/Couples#Switch Genders Roles for Commitment|সম্পর্ক/দম্পতি/প্রতিশ্রুতির জন্য ভূমিকা বদলান}}
# {{eb|Relationships/Couples#"Our Relationship" Talks|সম্পর্ক/দম্পতি/"আমাদের সম্পর্ক" নিয়ে আলোচনা}}
# {{eb|Relationships/Couples#Resistance to Commitment|সম্পর্ক/দম্পতি/প্রতিশ্রুতির বাধা}}
# {{eb|Relationships/Couples#Life Stages Conflict|সম্পর্ক/দম্পতি/জীবনের নানা দ্বন্দ্ব}}
# {{eb|Relationships/Couples#Deciding Whom to Marry vs. Deciding When to Marry|সম্পর্ক/দম্পতি/কাকে বিয়ে, কখন বিয়ে?}}
# {{eb|Relationships/Conflict|সম্পর্ক/সংঘাত}}
# {{eb|Relationships/Conflict#Conjunct Relationships|সম্পর্ক/সংঘাত/সংযুক্ত সম্পর্ক}}
# {{eb|Relationships/Conflict#Opposite Relationships|সম্পর্ক/সংঘাত/বিপরীত সম্পর্ক}}
# {{eb|Relationships/Conflict#Triangular Relationships|সম্পর্ক/সংঘাত/ত্রিভুজাকার সম্পর্ক}}
# {{eb|Relationships/Conflict#Square Relationships|সম্পর্ক/সংঘাত/চতুর্ভুজ রিলেশনশিপস}}
# {{eb|Relationships/Conflict#Larger Groups|সম্পর্ক/সংঘাত/বৃহত্তর গোষ্ঠী}}
# {{eb|Relationships/Conflict#Dyad Trouble|সম্পর্ক/সংঘাত/দুজনের সমস্যা}}
# {{eb|Relationships/Conflict#Staying in Relationships|সম্পর্ক/সংঘাত/সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা}}
# {{eb|Relationships/Emotional Control Systems|সম্পর্ক/আবেগ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা}}
# {{eb|Relationships/Emotional Control Systems#Archetypes|সম্পর্ক/আবেগ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/আর্ক-টাইপ}}
# {{eb|Relationships/Emotional Control Systems#Opposites Attract|সম্পর্ক/আবেগ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/বিপরীতমুখী আকর্ষণ}}
# {{eb|Relationships/Zeus-Hera|সম্পর্ক/জিউস-হেরা}}
# {{eb|Relationships/Zeus-Hera#Zeus|সম্পর্ক/জিউস-হেরা/জিউস}}
# {{eb|Relationships/Zeus-Hera#Hera|সম্পর্ক/জিউস-হেরা/হেরা}}
# {{eb|Relationships/Zeus-Hera#Zeus-Hera Marriage|সম্পর্ক/জিউস-হেরা/জিউস-হেরার বিবাহ}}
# {{eb|Relationships/Poseidon-Athena|সম্পর্ক/পসেইডন-অ্যাথেনা}}
# {{eb|Relationships/Poseidon-Athena#Poseidon|সম্পর্ক/পসেইডন-অ্যাথেনা/পসেইডন}}
# {{eb|Relationships/Poseidon-Athena#Athena|সম্পর্ক/পসেইডন-অ্যাথেনা/এথেনা}}
# {{eb|Relationships/Poseidon-Athena#Poseidon-Athena|সম্পর্ক/পসেইডন-অ্যাথেনা/পসেইডন-অ্যাথেনা}}
# {{eb|Relationships/Apollo-Artemis|সম্পর্ক/অ্যাপোলো-আর্টেমিস}}
# {{eb|Relationships/Apollo-Artemis#Artemis|সম্পর্ক/অ্যাপোলো-আর্টেমিস/আর্টেমিস}}
# {{eb|Relationships/Apollo-Artemis#Apollo-Artemis Marriage|সম্পর্ক/অ্যাপোলো-আর্টেমিস/অ্যাপোলো-আর্টেমিসের বিবাহ}}
# {{eb|Relationships/Hermes-Hestia|সম্পর্ক/হার্মিস-হেস্টিয়া}}
# {{eb|Relationships/Hermes-Hestia#Hermes|সম্পর্ক/হার্মিস-হেস্টিয়া/হার্মিস}}
# {{eb|Relationships/Hermes-Hestia#Hestia|সম্পর্ক/হার্মিস-হেস্টিয়া/হেস্টিয়া}}
# {{eb|Relationships/Hermes-Hestia#Hermes-Hestia Marriage|সম্পর্ক/হার্মিস-হেস্টিয়া/হার্মিস-হেস্টিয়া বিবাহ}}
# {{eb|Relationships/Ares-Hephaestus-Aphrodite|সম্পর্ক/এরেস-হেফেস্টাস-অ্যাফ্রোডাইট}}
# {{eb|Relationships/Ares-Hephaestus-Aphrodite#Ares|সম্পর্ক/এরেস-হেফেস্টাস-অ্যাফ্রোডাইট/এরেস}}
# {{eb|Relationships/Ares-Hephaestus-Aphrodite#Hephaestus|সম্পর্ক/এরেস-হেফেস্টাস-অ্যাফ্রোডাইট/হেফেস্টাস}}
# {{eb|Relationships/Ares-Hephaestus-Aphrodite#Aphrodite|সম্পর্ক/এরেস-হেফেস্টাস-অ্যাফ্রোডাইট/অ্যাফ্রোডাইট}}
# {{eb|Relationships/Ares-Hephaestus-Aphrodite#Ares-Hephaestus-Aphrodite Marriage|সম্পর্ক/এরেস-হেফেস্টাস-অ্যাফ্রোডাইট/এরেস-হেফেস্টাস-অ্যাফ্রোডাইটের বিবাহ}}
# {{eb|Relationships/Relationships/Dionysus-Demeter|সম্পর্ক/ডায়োনিসাস-ডিমিটার}}
# {{eb|Relationships/Dionysus-Demeter/Dionysus|সম্পর্ক/ডায়োনিসাস-ডিমিটার/ডায়োনিসাস}}
# {{eb|Relationships/Dionysus-Demeter/Demeter|সম্পর্ক/ডায়োনিসাস-ডিমিটার/ডিমিটার}}
# {{eb|Relationships/Dionysus-Demeter/Dionysus-Demeter Marriage|সম্পর্ক/ডায়োনিসাস-ডিমিটার/ডায়োনিসাস-ডিমিটারের বিবাহ}}
# {{eb|Relationships/Hades-Persephone|সম্পর্ক/হেডিস-পার্সিফোন}}
# {{eb|Relationships/Hades-Persephone#Hades|সম্পর্ক/হেডিস-পার্সিফোন/হেডিস}}
# {{eb|Relationships/Hades-Persephone#Persephone|সম্পর্ক/হেডিস-পার্সিফোন/পার্সেফোন}}
# {{eb|Relationships/Hades-Persephone#Hades-Persephone Marriage|সম্পর্ক/হেডিস-পার্সিফোন/হেডিস-পার্সেফোনের বিবাহ}}
# {{eb|Relationships/Hades-Persephone#The Hades-Persephone Relationship|সম্পর্ক/হেডিস-পার্সিফোন/হেডিস-পার্সেফোনের সম্পর্ক}}
{{ping|Md Rashidul Hasan Biplob}} আপনি নতুন ব্যবহারকারী হওয়ায় Benefit of doubt দিয়ে তালিকাটি '''গ্রহণ করা হলো'''। এরপর থেকে প্রতিযোগিতার নিয়মকানুন ভালো করে দেখে কাজ করবেন। এরকম সুযোগ দ্বিতীয়বার দেওয়া হবে না। ≈ <b style="border:1.5px solid #736AFF;font-family:georgia;font-variant:small-caps">[[User:MS_Sakib|<b style="background-color:#FBB117;color:#7E2217">MS Sakib </b>]][[User talk:MS Sakib| «আলাপ»]]</b> ০৬:৪৮, ৩১ মে ২০২৫ (ইউটিসি)
:জি আমি অবশ্যই সতর্ক থাকব। নিয়মের বিরুদ্ধে আমি নিজেও যেতে আগ্রহী নই। আয়োজক দলকে অনেক ধন্যবাদ। [[ব্যবহারকারী:Md Rashidul Hasan Biplob|Md Rashidul Hasan Biplob]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:Md Rashidul Hasan Biplob|আলাপ]]) ০৬:৫২, ৩১ মে ২০২৫ (ইউটিসি)
== তালিকায় নেই এমন একটি বই অনুবাদ করতে চাই ==
https://en.m.wikibooks.org/wiki/Climatology
এই বইটি অনুবাদ করতে চাচ্ছি, অনুগ্রহ করে বই টি তালিকায় যুক্ত করবেন। [[ব্যবহারকারী:Dark1618|Dark1618]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:Dark1618|আলাপ]]) ০৯:০৮, ২৪ মে ২০২৫ (ইউটিসি)
== Seeing What Others Don’t ==
বইটির সম্পর্কে বিস্তারিত:
লেখক: Gary Klein
প্রকাশকাল: ২০১৩
বিষয়বস্তু: কগনিটিভ সাইকোলজি, ডিসিশন মেকিং, ইনসাইট ডেভেলপমেন্ট
বইটির মূল থিম:
গ্যারি ক্লেইন তার গবেষণার মাধ্যমে ব্যাখ্যা করেছেন, মানুষ কীভাবে হঠাৎ করে কোনো সমস্যা বা পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উপলব্ধি বা insight লাভ করে — যা সাধারণ চিন্তাধারার বাইরে।
তিনি ১২০টিরও বেশি কেস স্টাডি বিশ্লেষণ করে দেখিয়েছেন যে:
অনেক সময় তথ্য থাকার পরেও মানুষ বুঝতে পারে না আসল বিষয়টি কী,
আবার অনেক সময় সাধারণ মানুষও অসাধারণ অন্তর্দৃষ্টি পেতে পারে।
তিনি তিনটি প্রধান পন্থা দেখিয়েছেন, যেভাবে ইনসাইট জন্ম নেয়:
Contradiction – যখন বাস্তবতা আমাদের বিশ্বাসের বিরোধিতা করে
Connection – দুটি অসংযুক্ত ধারণাকে যুক্ত করা হয়
Creative Desperation – যখন অন্য সব বিকল্প ব্যর্থ হলে হঠাৎ এক নতুন সমাধান মাথায় আসে
আপনি অনুবাদ করতে চাইলে কীভাবে এগোবেন?
১. উদ্দেশ্য নির্ধারণ করুন:
আপনি কি ব্যক্তিগত পাঠের জন্য অনুবাদ করবেন, নাকি প্রকাশনার উদ্দেশ্যে?
প্রকাশনার জন্য হলে কপিরাইট অনুমতি লাগবে।
২. অনুবাদের ধরন ঠিক করুন:
কি আপনি শব্দ-বাক্য ভিত্তিক সঠিক অনুবাদ চান?
না কি ভাবানুবাদ— অর্থ বজায় রেখে সহজ বাংলায় প্রকাশ করবেন?
৩. অধ্যায়ভিত্তিক কাজ করলে ভালো হয়:
আমি চাইলে আপনাকে প্রতি অধ্যায়ের সারাংশ বা পূর্ণ অনুবাদ দিতে পারি — যেমন:
অধ্যায় ১: "Insight as a Flash" (বাংলা অনুবাদে: হঠাৎ প্রাপ্ত অন্তর্দৃষ্টি)
অধ্যায় ২: "The Curious Nature of Insight"
...
৪. লেখার ধরন বজায় রাখা:
Gary Klein-এর লেখায় অনেক বাস্তব কেস স্টাডি ও সংলাপ থাকে, অনুবাদে সেগুলো বিশ্বাসযোগ্যভাবে তুলে ধরা জরুরি। [[ব্যবহারকারী:Humayun.faruque|Humayun.faruque]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:Humayun.faruque|আলাপ]]) ১০:৩৬, ২৫ মে ২০২৫ (ইউটিসি)
:সেগুলোকে বিস্তারিত আলোচনা করে তুলে ধরা হবে [[ব্যবহারকারী:Humayun.faruque|Humayun.faruque]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:Humayun.faruque|আলাপ]]) ১০:৪৪, ২৫ মে ২০২৫ (ইউটিসি)
== তালিকায় যোগ ==
# {{eb|Movie Making Manual}}
# {{eb|3D Printing}}
[[ব্যবহারকারী:MD Abu Siyam|MD Abu Siyam]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:MD Abu Siyam|আলাপ]]) ০৫:২৩, ২৬ মে ২০২৫ (ইউটিসি)
:@[[ব্যবহারকারী:MD Abu Siyam|MD Abu Siyam]] প্রথম বইটি সম্পূর্ণ নয় দ্বিতীয় বইটি যাচাই করে যুক্ত করা হবে। যুক্ত করা হলে এখানে জানিয়ে দিব। [[ব্যবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:R1F4T|আলাপ]]) ০৭:০৬, ৩১ মে ২০২৫ (ইউটিসি)
::@[[ব্যবহারকারী:MD Abu Siyam|MD Abu Siyam]] ২য় বইটি যোগ করা হয়েছে [[ব্যবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:R1F4T|আলাপ]]) ১২:০৯, ৩১ মে ২০২৫ (ইউটিসি)
== নতুন পাতা অনুবাদ ==
Applications of ICT in Libraries এই পাতাটি অনুবাদ করতে চাই, পাতাটি তালিকায় যুক্ত করার অনুরোধ করছি, পাতাটির লিংক: [[ব্যবহারকারী:Sheikh Mehedi Hassan|Sheikh Mehedi Hassan]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:Sheikh Mehedi Hassan|আলাপ]]) ১৮:২৯, ২৬ মে ২০২৫ (ইউটিসি)
:1111 [[বিশেষ:অবদান/37.111.239.140|37.111.239.140]] ১২:৩৫, ৭ জুন ২০২৫ (ইউটিসি)
::01714638936
::MD suman sadar [[বিশেষ:অবদান/37.111.242.105|37.111.242.105]] ১৩:২১, ৭ জুন ২০২৫ (ইউটিসি)
== নতুন বই যুক্ত করার অনুরোধ ==
Java programming ( ''জাভা প্রোগ্রামিং) বইটি যুক্ত করার অনুরোধ করছি।'' [[ব্যবহারকারী:Sheikh Mehedi Hassan|Sheikh Mehedi Hassan]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:Sheikh Mehedi Hassan|আলাপ]]) ২২:৪২, ২৮ মে ২০২৫ (ইউটিসি)
== কুইজ টেমপ্লেটটি কাজ করছেনা ==
বাংলা উইকিবইয়ের পাতাতে কুইজ টেমপ্লেট যোগ করতে চাইলে সেটি ঠিকমতো কাজ করছেনা। প্রশ্ন এবং উত্তর কিছুই দেখা যাচ্ছেনা। খালি '''টেমপ্লেট:কুইজ''' -এরকম দেখাচ্ছে। কেউ কি বলতে পারেন যে কুইজ টেমপ্লেট কিভাবে ব্যবহার করা যাবে, অথবা এর বিকল্প কি? [[ব্যবহারকারী:RDasgupta2020|RDasgupta2020]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:RDasgupta2020|আলাপ]]) ০৫:৫১, ৩০ মে ২০২৫ (ইউটিসি)
:@[[ব্যবহারকারী:RDasgupta2020|RDasgupta2020]] বাংলা উইকিবইয়ে এক্সটেনশনটি আপাতত নেই [[ব্যবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:R1F4T|আলাপ]]) ০৭:০৪, ৩১ মে ২০২৫ (ইউটিসি)
::তাহলে কি কুইজের প্রশ্ন উত্তর গুলো আলাধাভাবে প্যারার আকারে লিখে দেব না কি যেমন আছে সেরকম রেখে দেব? [[ব্যবহারকারী:RDasgupta2020|RDasgupta2020]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:RDasgupta2020|আলাপ]]) ০৯:১৮, ৩১ মে ২০২৫ (ইউটিসি)
:::@[[ব্যবহারকারী:RDasgupta2020|RDasgupta2020]] যেমন আছে সেরকমই আপাতত রেখে দিন [[ব্যবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:R1F4T|আলাপ]]) ১১:২৬, ৩১ মে ২০২৫ (ইউটিসি)
== দুই পাতার এক শিরোনাম ==
সুধী বিচারকগন, একটি ব্যাপারে আপনাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই, নিম্নের এই দুটি উইকিবই...
# {{eb|Engineering Acoustics/Forced Oscillations (Simple Spring-Mass System)|প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/বলকৃত দোলন (সাধারণ স্প্রিং-ভর সিস্টেম)}} - [[ব্যবহারকারী:RDasgupta2020|RDasgupta2020]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:RDasgupta2020|আলাপ]]) ১১:১৪, ৩০ মে ২০২৫ (ইউটিসি)
# {{eb|Engineering Acoustics/Forced Oscillations(Simple Spring-Mass System)|প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/বলকৃত দোলন (সাধারণ স্প্রিং-ভর সিস্টেম)}}
এই দুটি ইংরেজি উইকিবইয়ের শিরোনাম এক থাকলেও তাদের বিষয়বস্তু ভিন্ন। আমি প্রথম বইটির বাংলা তর্জমা করেছিলাম, কিন্তু দুটি বইয়ের শিরোনাম এক থাকার দরুন আমি যখন প্রথম বইটির লাল লিংক -এ ক্লিক করে অনুবাদ প্রকাশ করি, তখন সাথে সাথে দ্বিতীয় বইটিরও বাংলা অনুবাদে একই বিষয়বস্তু যুক্ত হয়ে গেছে। দুটি পাতার এক শিরোনাম থাকার কারনে হয়তো এটা হয়েছে কিন্তু দুটি বইয়ের বিষয়বস্তু আলাদা করা দরকার। এই বিষয়ে কেউ কি সাহায্য করতে পারবেন? [[ব্যবহারকারী:RDasgupta2020|RDasgupta2020]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:RDasgupta2020|আলাপ]]) ০৪:২১, ৩১ মে ২০২৫ (ইউটিসি)
:@[[ব্যবহারকারী:RDasgupta2020|RDasgupta2020]] দুটি পাতার বিষয়বস্তু একত্রীকরণ করে ফেলুন [[ব্যবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:R1F4T|আলাপ]]) ০৭:০৩, ৩১ মে ২০২৫ (ইউটিসি)
::একত্রীকরণ করব কি ভাবে ঠিক বুঝলামনা। দুটো পাতারই বিষয়বস্তু একসাথে অনুবাদ করে একটা পাতায় লিখব কি? [[ব্যবহারকারী:RDasgupta2020|RDasgupta2020]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:RDasgupta2020|আলাপ]]) ০৯:২০, ৩১ মে ২০২৫ (ইউটিসি)
:::@[[ব্যবহারকারী:RDasgupta2020|RDasgupta2020]] সামঞ্জস্য করে দুই পাতার বিষয়বস্তু একসাথে লিখুন [[ব্যবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:R1F4T|আলাপ]]) ১১:২৫, ৩১ মে ২০২৫ (ইউটিসি)
== বই যোগ ==
https://en.m.wikibooks.org/wiki/Communication_Theory
Communication Theory বইটি অনুবাদ করতে চাই। [[ব্যবহারকারী:Anisvai|Anisvai]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:Anisvai|আলাপ]]) ০৮:১৮, ১ জুন ২০২৫ (ইউটিসি)
:@[[ব্যবহারকারী:Anisvai|Anisvai]] বইটি ইতোমধ্যে বিদ্যমান [[ব্যবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:R1F4T|আলাপ]]) ০৯:৩০, ১ জুন ২০২৫ (ইউটিসি)
== বই যোগ ==
https://en.m.wikibooks.org/wiki/Professional_and_Technical_Writing
Professional and Technical Writing
বইটি অনুবাদ করতে চাই [[ব্যবহারকারী:Anisvai|Anisvai]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:Anisvai|আলাপ]]) ০৯:৪৫, ১ জুন ২০২৫ (ইউটিসি)
== বই যোগ ==
https://en.m.wikibooks.org/wiki/Introduction_to_Philosophy
Introduction to Philosophy
বইটি অনুবাদ করতে চাই [[ব্যবহারকারী:Anisvai|Anisvai]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:Anisvai|আলাপ]]) ১০:০৪, ১ জুন ২০২৫ (ইউটিসি)
:@[[ব্যবহারকারী:Anisvai|Anisvai]] যোগ করা হয়েছে। —[[ব্যবহারকারী:MdsShakil|শাকিল]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:MdsShakil|আলাপ]]) ০৯:২৪, ৪ জুন ২০২৫ (ইউটিসি)
== নতুন বই যুক্তকরণ প্রয়োজন ==
@[[ব্যবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] দয়া করে <S>[[en:History of Islam]]</s> [[en:United Nations History]] বইটি যুক্ত করুন। আর এমনিতেই বইয়ের সংখ্যা হ্রাস পাচ্ছে। [[ব্যবহারকারী:Md Mobashir Hossain|Md Mobashir Hossain]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:Md Mobashir Hossain|আলাপ]]) ০৬:৩০, ৩ জুন ২০২৫ (ইউটিসি)
#[[en:History of the National Hockey League]] এবং [[en:History of Florida]] কেও যুক্ত করতে পারেন [[ব্যবহারকারী:Md Mobashir Hossain|Md Mobashir Hossain]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:Md Mobashir Hossain|আলাপ]]) ০৬:৩৫, ৩ জুন ২০২৫ (ইউটিসি)
== নতুন বই যুক্তকরণ প্রয়োজন ==
Java programming ( ''জাভা প্রোগ্রামিং) বইটি যুক্ত করার অনুরোধ করছি'' [[ব্যবহারকারী:Sheikh Mehedi Hassan|Sheikh Mehedi Hassan]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:Sheikh Mehedi Hassan|আলাপ]]) ১৭:২১, ৩ জুন ২০২৫ (ইউটিসি)
== Recheck ejected pages ==
@[[ব্যবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] i have corrected two pages you rejected
# [[রন্ধনপ্রণালী:আমের চাটনি|আমের চাটনি - উইকিবই]]
# [[রন্ধনপ্রণালী:টমেটো চাটনি|টমেটো চাটনি - উইকিবই]]
requesting to recheck them again [[ব্যবহারকারী:Sheikh Mehedi Hassan|Sheikh Mehedi Hassan]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:Sheikh Mehedi Hassan|আলাপ]]) ১৯:২২, ৩ জুন ২০২৫ (ইউটিসি)
:@[[ব্যবহারকারী:Sheikh Mehedi Hassan|Sheikh Mehedi Hassan]] দুঃখিত, ভাষাটা বুঝতে পারিনি। বাংলায় বলুন। [[ব্যবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:NusJaS|আলাপ]]) ০৫:৪২, ৪ জুন ২০২৫ (ইউটিসি)
::@[[ব্যবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] পুনঃ পর্যালোচনা করতে বলেছে :/ [[ব্যবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:R1F4T|আলাপ]]) ১৩:১৭, ৪ জুন ২০২৫ (ইউটিসি)
== bokthiar ==
আমার সাইডে আমি ঢুকতে পারতেছি না কেন কারণ কি [[বিশেষ:অবদান/2401:1900:8051:92B5:0:0:0:1|2401:1900:8051:92B5:0:0:0:1]] ০০:১৭, ৪ জুন ২০২৫ (ইউটিসি)
== article topic finding problem ==
আমি "Article Topic" এ যেয়ে কিভাবে সাবমিট করব? [[ব্যবহারকারী:Abdullah Al Hasan (Hasan)|Abdullah Al Hasan (Hasan)]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:Abdullah Al Hasan (Hasan)|আলাপ]]) ১৫:৫৬, ৬ জুন ২০২৫ (ইউটিসি)
== নিবন্ধ পুনরালোচনার অনুরোধ ==
সুধী বিচারকগন,
আমার [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/মডুলার প্রোগ্রামিং]] নামক নিবন্ধটি প্রোগ্রামিং -এর কোডে ভুল থাকার কারনে অগৃহীত হয়েছে। আমি ভুল সংশোধন করে দিয়েছি। আমার বিনীত অনুরোধ, নিবন্ধটি আরেকবার পর্যালোচনা করা হোক।[[ব্যবহারকারী:RDasgupta2020|RDasgupta2020]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:RDasgupta2020|আলাপ]]) ১৮:১০, ১০ জুন ২০২৫ (ইউটিসি)
:প্লীজ কেউ একটু দেখুন যদি আরেকবার পর্যালোচনা করা যায়। [[ব্যবহারকারী:RDasgupta2020|RDasgupta2020]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:RDasgupta2020|আলাপ]]) ১৫:৩১, ১৬ জুন ২০২৫ (ইউটিসি)
plsymxjyp6d5293lvddwui49soxijhr
আধুনিক বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস
0
22682
84409
84256
2025-06-16T12:49:06Z
Jonoikobangali
676
/* পর্ব ২: বাংলা উপন্যাস ও ছোটোগল্প */
84409
wikitext
text/x-wiki
{{অবস্থা|৫০%}}<p align=center><font size=7 color="DarkBlue"><b>আধুনিক বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস</b></font></p>
==সূচিপত্র==
=== ভূমিকা ===
# [[/আধুনিক যুগের সূত্রপাত|বাংলা সাহিত্যে আধুনিক যুগের সূত্রপাত]]
## [[/আধুনিক যুগের সূত্রপাত#আধুনিকতার লক্ষণ|আধুনিকতার লক্ষণ]]
### [[/আধুনিক যুগের সূত্রপাত#মানবতাবোধ|মানবতাবোধ]]
### [[/আধুনিক যুগের সূত্রপাত#জাতীয়তাবোধ|জাতীয়তাবোধ]]
### [[/আধুনিক যুগের সূত্রপাত#বৈজ্ঞানিক চেতনা ও যুক্তিবাদ|বৈজ্ঞানিক চেতনা ও যুক্তিবাদ]]
## [[/আধুনিক যুগের সূত্রপাত#আধুনিক সাহিত্যের বিকাশ|আধুনিক সাহিত্যের বিকাশ]]
### [[/আধুনিক যুগের সূত্রপাত#গদ্যসাহিত্য|গদ্যসাহিত্য]]
### [[/আধুনিক যুগের সূত্রপাত#কথাসাহিত্য|কথাসাহিত্য]]
### [[/আধুনিক যুগের সূত্রপাত#কাব্যসাহিত্য|কাব্যসাহিত্য]]
### [[/আধুনিক যুগের সূত্রপাত#নাট্যসাহিত্য|নাট্যসাহিত্য]]
## [[/আধুনিক যুগের সূত্রপাত#মূল্যায়ন|মূল্যায়ন]]
=== পর্ব ১: বাংলা গদ্যসাহিত্য ===
# [[/গদ্যসাহিত্যের সূত্রপাত|বাংলা গদ্যসাহিত্যের সূত্রপাত (উনিশ শতকের পূর্ববর্তী বাংলা গদ্যসাহিত্য)]]
## [[/গদ্যসাহিত্যের সূত্রপাত#কোচবিহারের রাজার চিঠি ও অন্যান্য দলিল|কোচবিহারের রাজার চিঠি ও অন্যান্য দলিল]]
## [[/গদ্যসাহিত্যের সূত্রপাত#বৈষ্ণব নিবন্ধে গদ্য|বৈষ্ণব নিবন্ধে গদ্য]]
## [[/গদ্যসাহিত্যের সূত্রপাত#দোমিঙ্গো দে সোসা|দোমিঙ্গো দে সোসা]]
## [[/গদ্যসাহিত্যের সূত্রপাত#দোম আন্তোনিও দে রোজারিও: ব্রাহ্মণ-রোমান-ক্যাথলিক-সংবাদ|দোম আন্তোনিও দে রোজারিও: ''ব্রাহ্মণ-রোমান-ক্যাথলিক-সংবাদ'']]
## [[/গদ্যসাহিত্যের সূত্রপাত#মানোএল দ্য আস্মুম্পসাঁউ: কৃপার শাস্ত্রের অর্থভেদ|মানোএল দ্য আস্মুম্পসাঁউ: ''কৃপার শাস্ত্রের অর্থভেদ'']]
## [[/গদ্যসাহিত্যের সূত্রপাত#অন্যান্য নিদর্শন|অন্যান্য নিদর্শন]]
## [[/গদ্যসাহিত্যের সূত্রপাত#দেশীয় লেখকদের কৃতিত্ব|দেশীয় লেখকদের কৃতিত্ব]]
# [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ|শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ]]
## [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ#শ্রীরামপুর ব্যাপটিস্ট মিশন|শ্রীরামপুর ব্যাপটিস্ট মিশন]]
### [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ#শ্রীরামপুর ব্যাপটিস্ট মিশন প্রতিষ্ঠা|শ্রীরামপুর ব্যাপটিস্ট মিশন প্রতিষ্ঠা]]
### [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ#বাইবেল অনুবাদ|বাইবেল অনুবাদ]]
### [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ#ছাপাখানা প্রতিষ্ঠা ও সাময়িকপত্র|ছাপাখানা প্রতিষ্ঠা ও সাময়িকপত্র]]
### [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ#মিশনারিদের রচনার বৈশিষ্ট্য|মিশনারিদের রচনার বৈশিষ্ট্য]]
## [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ#ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ|ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ]]
### [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ#ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের প্রতিষ্ঠা|ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের প্রতিষ্ঠা]]
### [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ#পণ্ডিত-মুন্সিদের রচনা|পণ্ডিত-মুন্সিদের রচনা]]
#### [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ#উইলিয়াম কেরি|উইলিয়াম কেরি]]
#### [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ#রামরাম বসু|রামরাম বসু]]
#### [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ#মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার|মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার]]
#### [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ#অন্যান্য লেখকবর্গ|অন্যান্য লেখকবর্গ]]
### [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ#পণ্ডিত-মুন্সিদের গদ্যের রচনার বৈশিষ্ট্য|পণ্ডিত-মুন্সিদের গদ্যের রচনার বৈশিষ্ট্য]]
## [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ#মিশনারি ও কলেজের পণ্ডিত-মুন্সিদের গদ্যচর্চার তুলনা|মিশনারি ও কলেজের পণ্ডিত-মুন্সিদের গদ্যচর্চার তুলনা]]
# [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র|উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র]]
## [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#সংবাদপত্রের সূচনা|সংবাদপত্রের সূচনা]]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#দিগ্দর্শন|দিগ্দর্শন]]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#সমাচার-দর্পণ|সমাচার-দর্পণ]]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#গঙ্গাকিশোর ভট্টাচার্যের বেঙ্গল গেজেট|গঙ্গাকিশোর ভট্টাচার্যের ''বেঙ্গল গেজেট'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#সম্বাদ কৌমুদী|''সম্বাদ কৌমুদী'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#সমাচার-চন্দ্রিকা|''সমাচার-চন্দ্রিকা'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#সংবাদ প্রভাকর|''সংবাদ প্রভাকর'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা|''তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#উনিশ শতকের প্রথমার্ধের অন্যান্য পত্রপত্রিকা|উনিশ শতকের প্রথমার্ধের অন্যান্য পত্রপত্রিকা]]
## [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#উনিশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধের পত্রপত্রিকা|উনিশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধের পত্রপত্রিকা]]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#বিবিধার্থ সংগ্রহ|''বিবিধার্থ সংগ্রহ'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#মাসিক পত্রিকা|''মাসিক পত্রিকা'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#এডুকেশন গেজেট|''এডুকেশন গেজেট'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#সোমপ্রকাশ|''সোমপ্রকাশ'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#রহস্য-সন্দর্ভ|''রহস্য-সন্দর্ভ'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#অবোধবন্ধু|''অবোধবন্ধু'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#বঙ্গদর্শন|''বঙ্গদর্শন'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#প্রচার|''প্রচার'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#নবজীবন|''নবজীবন'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#ভারতী|''ভারতী'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#বালক|''বালক'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#সাধনা|''সাধনা'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#বঙ্গবাসী|''বঙ্গবাসী'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#হিতবাদী|''হিতবাদী'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#জন্মভূমি|''জন্মভূমি'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#বামাবোধিনী|''বামাবোধিনী'']]
## [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#পত্রিকাকেন্দ্রিক লেখকগোষ্ঠী|পত্রিকাকেন্দ্রিক লেখকগোষ্ঠী]]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#তত্ত্ববোধিনী গোষ্ঠী|তত্ত্ববোধিনী গোষ্ঠী]]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#বঙ্গদর্শন গোষ্ঠী|বঙ্গদর্শন গোষ্ঠী]]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#ভারতী ও সাধনা গোষ্ঠী|ভারতী ও সাধনা গোষ্ঠী]]
## [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#অবদান|অবদান]]
# [[/রাজা রামমোহন রায়|রাজা রামমোহন রায়]]
## [[/রাজা রামমোহন রায়#রামমোহন রায়ের রচনাবলি|রামমোহন রায়ের রচনাবলি]]
## [[/রাজা রামমোহন রায়#রামমোহন রায়ের গদ্যরীতি|রামমোহন রায়ের গদ্যরীতি]]
## [[/রাজা রামমোহন রায়#গদ্যশিল্পে রামমোহন রায়ের প্রভাব|গদ্যশিল্পে রামমোহন রায়ের প্রভাব]]
# [[/অক্ষয়কুমার দত্ত|অক্ষয়কুমার দত্ত]]
# [[/ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর|ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর]]
## [[/ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর#অনুবাদ সাহিত্য|অনুবাদ সাহিত্য]]
## [[/ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর#মৌলিক রচনা|মৌলিক রচনা]]
## [[/ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর#বিদ্যাসাগরের গদ্যরীতির বৈশিষ্ট্য|বিদ্যাসাগরের গদ্যরীতির বৈশিষ্ট্য]]
## [[/ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর#‘বাংলা গদ্যের জনক’|‘বাংলা গদ্যের জনক’]]
# [[/দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর|দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর]]
# [[/ভূদেব মুখোপাধ্যায়|ভূদেব মুখোপাধ্যায়]]
# [[/রাজনারায়ণ বসু|রাজনারায়ণ বসু]]
# [[/বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রবন্ধসাহিত্য|বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রবন্ধসাহিত্য]]
## [[/বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রবন্ধসাহিত্য#বঙ্কিমচন্দ্রের প্রবন্ধসাহিত্যে বৈচিত্র্য|বৈচিত্র্য]]
## [[/বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রবন্ধসাহিত্য#জ্ঞানচর্চামূলক প্রবন্ধ|জ্ঞানচর্চামূলক প্রবন্ধ]]
## [[/বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রবন্ধসাহিত্য#বিচারমূলক প্রবন্ধ|বিচারমূলক প্রবন্ধ]]
## [[/বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রবন্ধসাহিত্য#রসব্যঞ্জনামূলক প্রবন্ধ|রসব্যঞ্জনামূলক প্রবন্ধ]]
## [[/বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রবন্ধসাহিত্য#প্রবন্ধসাহিত্যে বঙ্কিমচন্দ্রের অবদান|অবদান]]
# [[/বঙ্কিম-সমকালীন প্রাবন্ধিক গোষ্ঠী|বঙ্কিম-সমকালীন প্রাবন্ধিক গোষ্ঠী]]
# [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক বাংলা প্রবন্ধসাহিত্য|রবীন্দ্র-সমসাময়িক প্রবন্ধসাহিত্য]]
## [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক বাংলা প্রবন্ধসাহিত্য#বলেন্দ্রনাথ ঠাকুর|বলেন্দ্রনাথ ঠাকুর]]
## [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক বাংলা প্রবন্ধসাহিত্য#অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর|অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর]]
## [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক বাংলা প্রবন্ধসাহিত্য#রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদী|রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদী]]
## [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক বাংলা প্রবন্ধসাহিত্য#প্রমথ চৌধুরী|প্রমথ চৌধুরী]]
## [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক বাংলা প্রবন্ধসাহিত্য#পাঁচকড়ি বন্দ্যোপাধ্যায়|পাঁচকড়ি বন্দ্যোপাধ্যায়]]
## [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক বাংলা প্রবন্ধসাহিত্য#মোহিতলাল মজুমদার|মোহিতলাল মজুমদার]]
## [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক বাংলা প্রবন্ধসাহিত্য#রবীন্দ্র-পরবর্তীকালের বাংলা প্রবন্ধসাহিত্য|রবীন্দ্র-পরবর্তীকালের বাংলা প্রবন্ধসাহিত্য]]
===পরিশিষ্ট: বাংলা গদ্যসাহিত্য===
# [[/রামমোহন, বিদ্যাসাগর ও অক্ষয়কুমারের অবদান|রামমোহন, বিদ্যাসাগর ও অক্ষয়কুমারের অবদান]]
# [[/বাংলা গদ্যে আলালী ও বিদ্যাসাগরী রীতির বিবর্তন|বাংলা গদ্যে আলালী ও বিদ্যাসাগরী রীতির বিবর্তন]]
# [[/বাংলা গদ্যে চলিত রীতির বিবর্তন|বাংলা গদ্যে চলিত রীতি বিবর্তন]]
# [[/ভূদেব মুখোপাধ্যায় ও বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়|ভূদেব মুখোপাধ্যায় ও বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়]]
=== পর্ব ২: বাংলা উপন্যাস ও ছোটোগল্প ===
# [[/উপন্যাসের সূত্রপাত|বাংলা সাহিত্যে উপন্যাসের সূত্রপাত]]
## [[/উপন্যাসের সূত্রপাত#উপন্যাসের সূত্রপাত|উপন্যাসের সূত্রপাত]]
## [[/উপন্যাসের সূত্রপাত#উপন্যাস রচনার প্রথম প্রচেষ্টা|উপন্যাস রচনার প্রথম প্রচেষ্টা]]
## [[/উপন্যাসের সূত্রপাত#হানা ক্যাথারিন মুলেন্সের ফুলমণি ও করুণার বৃত্তান্ত|হানা ক্যাথারিন মুলেন্সের ''ফুলমণি ও করুণার বৃত্তান্ত'']]
## [[/উপন্যাসের সূত্রপাত#প্যারীচাঁদ মিত্রের আলালের ঘরের দুলাল|প্যারীচাঁদ মিত্রের ''আলালের ঘরের দুলাল'']]
## [[/উপন্যাসের সূত্রপাত#কালীপ্রসন্ন সিংহের হুতোম প্যাঁচার নক্সা|কালীপ্রসন্ন সিংহের ''হুতোম প্যাঁচার নক্সা'']]
## [[/উপন্যাসের সূত্রপাত#রোম্যান্স রচনার সূত্রপাত|রোম্যান্স রচনার সূত্রপাত: ভূদেব মুখোপাধ্যায়, কৃষ্ণকমল ভট্টাচার্য ও গোপীমোহন ঘোষ]]
## [[/উপন্যাসের সূত্রপাত#সূচনা পর্বের উপন্যাসের সাহিত্যমূল্য|সূচনা পর্বের উপন্যাসের সাহিত্যমূল্য]]
# [[/বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের উপন্যাস|বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের উপন্যাস]]
# [[/বঙ্কিম-সমকালীন ঔপন্যাসিক গোষ্ঠী|বঙ্কিম-সমকালীন ঔপন্যাসিক গোষ্ঠী]]
## [[/বঙ্কিম-সমকালীন ঔপন্যাসিক গোষ্ঠী#রমেশচন্দ্র দত্ত|রমেশচন্দ্র দত্ত]]
# [[/বিশ শতকের বাংলা উপন্যাস|বিশ শতকের বাংলা উপন্যাস]]
# [[/প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়ের উপন্যাস|প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়ের উপন্যাস]]
# [[/শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের উপন্যাস|শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের উপন্যাস]]
# [[/শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ছোটোগল্প|শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ছোটোগল্প]]
# [[/বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়|বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়]]
# [[/তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়|তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়]]
# [[/মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়|মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়]]
# [[/বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায়|বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায়]]
# [[/দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী যুগের ছোটোগল্প ও উপন্যাস|দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী যুগের ছোটোগল্প ও উপন্যাস]]
## [[/দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী যুগের ছোটোগল্প ও উপন্যাস#হৃদয়বৃত্তিমূলক কথাসাহিত্য|হৃদয়বৃত্তিমূলক কথাসাহিত্য]]
## [[/দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী যুগের ছোটোগল্প ও উপন্যাস#চিন্তামূলক মননশীল কথাসাহিত্য|চিন্তামূলক মননশীল কথাসাহিত্য]]
## [[/দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী যুগের ছোটোগল্প ও উপন্যাস#বিকৃত-চিন্তামূলক বিদ্রোহাত্মক কথাসাহিত্য|বিকৃত-চিন্তামূলক বিদ্রোহাত্মক কথাসাহিত্য]]
## [[/দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী যুগের ছোটোগল্প ও উপন্যাস#বাস্তববুদ্ধিমূলক মানবিক কথাসাহিত্য|বাস্তববুদ্ধিমূলক মানবিক কথাসাহিত্য]]
## [[/দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী যুগের ছোটোগল্প ও উপন্যাস#কৌতুকরসাত্মক কথাসাহিত্য|কৌতুকরসাত্মক কথাসাহিত্য]]
=== পর্ব ৩: বাংলা নাটক ===
# [[/উদ্ভব|বাংলা নাটকের উদ্ভব]]
# [[/নাট্যশালার ইতিহাস|বাংলা নাট্যশালার ইতিহাস]]
# [[/সাধারণ রঙ্গালয় প্রতিষ্ঠার পূর্ববর্তী নাটক|সাধারণ রঙ্গালয় প্রতিষ্ঠার পূর্ববর্তী নাটক]]
# [[/রামনারায়ণ তর্করত্ন|রামনারায়ণ তর্করত্ন]]
## [[/রামনারায়ণ তর্করত্ন#কুলীনকুলসর্বস্ব|''কুলীনকুলসর্বস্ব'']]
## [[/রামনারায়ণ তর্করত্ন#অন্যান্য নাটক|অন্যান্য নাটক]]
## [[/রামনারায়ণ তর্করত্ন#মূল্যায়ন|মূল্যায়ন]]
# [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের নাট্যসাহিত্য|মাইকেল মধুসূদন দত্ত]]
## [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের নাট্যসাহিত্য#প্রাক্-মধুসূদন যুগের বাংলা নাটক ও মধুসূদন|প্রাক্-মধুসূদন যুগের বাংলা নাটক ও মধুসূদন]]
## [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের নাট্যসাহিত্য#পৌরাণিক নাটক|পৌরাণিক নাটক]]
### [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের নাট্যসাহিত্য#''শর্মিষ্ঠা''|''শর্মিষ্ঠা'']]
### [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের নাট্যসাহিত্য#''পদ্মাবতী''|''পদ্মাবতী'']]
## [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের নাট্যসাহিত্য#ঐতিহাসিক নাটক: ট্র্যাজেডি|ঐতিহাসিক নাটক: ট্র্যাজেডি]]
### [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের নাট্যসাহিত্য#''কৃষ্ণকুমারী''|''কৃষ্ণকুমারী'']]
## [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের নাট্যসাহিত্য#প্রহসন|প্রহসন: ''একেই কি বলে সভ্যতা'' ও ''বুড়ো শালিকের ঘাড়ে রোঁ'']]
## [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের নাট্যসাহিত্য#প্রহসন|অন্যান্য নাটক: ''মায়াকানন'' ও ''বিষ না ধনুর্গুণ'']]
## [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের নাট্যসাহিত্য#বাংলা নাটকের ইতিহাসে মাইকেল মধুসূদন দত্তের স্থান|বাংলা নাটকের ইতিহাসে মাইকেল মধুসূদন দত্তের স্থান]]
# [[/দীনবন্ধু মিত্র|দীনবন্ধু মিত্র]]
## [[/দীনবন্ধু মিত্র#সামাজিক নাটক|সামাজিক নাটক]]
### [[/দীনবন্ধু মিত্র#নীলদর্পণ|''নীলদর্পণ'']]
#### [[/দীনবন্ধু মিত্র#নীল বিদ্রোহ ও নীলদর্পণ নাটক|নীল বিদ্রোহ ও ''নীলদর্পণ'' নাটক]]
#### [[/দীনবন্ধু মিত্র#নীলদর্পণ নাটকের সংক্ষিপ্ত কাহিনি|''নীলদর্পণ'' নাটকের সংক্ষিপ্ত কাহিনি]]
#### [[/দীনবন্ধু মিত্র#সমালোচনা|সমালোচনা]]
## [[/দীনবন্ধু মিত্র#অন্যান্য নাটক|অন্যান্য নাটক]]
### [[/দীনবন্ধু মিত্র#প্রহসন|প্রহসন]]
#### [[/দীনবন্ধু মিত্র#সধবার একাদশী ও নিমচাঁদ চরিত্র|''সধবার একাদশী'' ও নিমচাঁদ চরিত্র]]
## [[/দীনবন্ধু মিত্র#বাংলা নাট্যসাহিত্যে দীনবন্ধু মিত্রের অবদান|বাংলা নাট্যসাহিত্যে দীনবন্ধু মিত্রের অবদান]]
# [[/মনোমোহন বসু|মনোমোহন বসু]]
# [[/জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর|জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর]]
## [[/জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর#জ্যোতিরিন্দ্রনাথের ঐতিহাসিক নাটক|ঐতিহাসিক নাটক]]
## [[/জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর#জ্যোতিরিন্দ্রনাথের প্রহসন|প্রহসন]]
## [[/জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর#জ্যোতিরিন্দ্রনাথের অনুবাদ নাটক|অনুবাদ নাটক]]
# [[/উপেন্দ্রনাথ দাস|উপেন্দ্রনাথ দাস]]
# [[/রাজকৃষ্ণ রায়|রাজকৃষ্ণ রায়]]
# [[/গিরিশচন্দ্র ঘোষ|গিরিশচন্দ্র ঘোষ]]
# [[/অমৃতলাল বসু|অমৃতলাল বসু]]
# [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়|দ্বিজেন্দ্রলাল রায়]]
## [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#প্রহসন|প্রহসন]]
### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#কল্কি অবতার|''কল্কি অবতার'']]
### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#বিরহ|''বিরহ'']]
### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#ত্র্যহস্পর্শ|''ত্র্যহস্পর্শ'']]
### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#প্রায়শ্চিত্ত|''প্রায়শ্চিত্ত'']]
### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#পুনর্জন্ম|''পুনর্জন্ম'']]
### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#আনন্দবিদায়|''আনন্দবিদায়'']]
## [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#পৌরাণিক নাটক|পৌরাণিক নাটক]]
### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#পাষাণী|''পাষাণী'']]
### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#সীতা|''সীতা'']]
### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#ভীষ্ম|''ভীষ্ম'']]
## [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#সামাজিক নাটক|সামাজিক নাটক]]
### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#পরপারে|''পরপারে'']]
### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#বঙ্গনারী|''বঙ্গনারী'']]
## [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#অপেরা|অপেরা]]
### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#সোরাব-রুস্তম|''সোরাব-রুস্তম'']]
## [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#ঐতিহাসিক নাটক|ঐতিহাসিক নাটক]]
### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#রাজপুত ইতিহাস-নির্ভর ঐতিহাসিক নাটক|রাজপুত ইতিহাস-নির্ভর ঐতিহাসিক নাটক]]
#### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#তারাবাঈ|''তারাবাঈ'']]
#### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#রাণা প্রতাপ সিংহ|''রাণা প্রতাপ সিংহ'']]
#### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#দুর্গাদাস|''দুর্গাদাস'']]
#### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#মেবার পতন|''মেবার পতন'']]
### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#অন্যান্য ঐতিহাসিক নাটক|অন্যান্য ঐতিহাসিক নাটক]]
#### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#নূরজাহান|''নূরজাহান'']]
#### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#সাজাহান|''সাজাহান'']]
#### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#চন্দ্রগুপ্ত|''চন্দ্রগুপ্ত'']]
#### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#সিংহল বিজয়|''সিংহল বিজয়'']]
## [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#দ্বিজেন্দ্রলালের নাটকে সংলাপের ভাষা|দ্বিজেন্দ্রলালের নাটকে সংলাপের ভাষা]]
## [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#মূল্যায়ন|মূল্যায়ন]]
# [[/ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ|ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ]]
## [[/ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ#অপেরা বা গীতিমুখর নাটক|অপেরা বা গীতিমুখর নাটক]]
## [[/ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ#পৌরাণিক নাটক|পৌরাণিক নাটক]]
## [[/ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ#কাল্পনিক নাটক|কাল্পনিক নাটক]]
## [[/ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ#অপেরা বা গীতিমুখর নাটক|অপেরা বা গীতিমুখর নাটক]]
## [[/ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ#ঐতিহাসিক নাটক|ঐতিহাসিক নাটক]]
## [[/ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ#মূল্যায়ন|মূল্যায়ন]]
# [[/বিশ শতকের বাংলা নাটক|বিশ শতকের বাংলা নাটক]]
## [[/বিশ শতকের বাংলা নাটক#অপরেশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়|অপরেশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়]]
## [[/বিশ শতকের বাংলা নাটক#গতানুগতিক ধারার নাট্যকারগণ|গতানুগতিক ধারার নাট্যকারগণ]]
## [[/বিশ শতকের বাংলা নাটক#যোগেশচন্দ্র চৌধুরী|যোগেশচন্দ্র চৌধুরী]]
## [[/বিশ শতকের বাংলা নাটক#মন্মথ রায়|মন্মথ রায়]]
## [[/বিশ শতকের বাংলা নাটক#শচীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত|শচীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত]]
## [[/বিশ শতকের বাংলা নাটক#বিধায়ক ভট্টাচার্য|বিধায়ক ভট্টাচার্য]]
## [[/বিশ শতকের বাংলা নাটক#প্রমথনাথ বিশী|প্রমথনাথ বিশী]]
## [[/বিশ শতকের বাংলা নাটক#জীবনী নাটক|জীবনী নাটক]]
## [[/বিশ শতকের বাংলা নাটক#নবনাট্য আন্দোলন|নবনাট্য আন্দোলন]]
## [[/বিশ শতকের বাংলা নাটক#বিদেশি নাটকের বঙ্গীকরণ|বিদেশি নাটকের বঙ্গীকরণ]]
# [[/পৌরাণিক নাটক|বাংলা পৌরাণিক নাটকের বিকাশ]]
## [[/পৌরাণিক নাটক#প্রথম পর্বের বাংলা পৌরাণিক নাটক|প্রথম পর্ব: হরচন্দ্র ঘোষ, কালীপ্রসন্ন সিংহ, মাইকেল মধুসূদন দত্ত ও রামনারায়ণ তর্করত্ন]]
## [[/পৌরাণিক নাটক#দ্বিতীয় পর্বের বাংলা পৌরাণিক নাটক|দ্বিতীয় পর্ব: মনোমোহন বসু, রাজকৃষ্ণ রায়, অতুলকৃষ্ণ মিত্র ও গিরিশচন্দ্র ঘোষ]]
## [[/পৌরাণিক নাটক#তৃতীয় পর্বের বাংলা পৌরাণিক নাটক|তৃতীয় পর্ব: দ্বিজেন্দ্রলাল রায়, ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ, অপরেশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়, ভূপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, যোগেশচন্দ্র চৌধুরী, মন্মথ রায় ও মহেন্দ্র গুপ্ত]]
## [[/পৌরাণিক নাটক#বাংলা পৌরাণিক নাটকের পরিণতি|পরিণতি]]
# [[/ঐতিহাসিক নাটক|বাংলা ঐতিহাসিক নাটকের বিকাশ]]
# [[/সামাজিক ও পারিবারিক নাটক|বাংলা সামাজিক ও পারিবারিক নাটকের বিকাশ]]
## [[/সামাজিক ও পারিবারিক নাটক#প্রথম পর্বের সামাজিক নাটক|প্রথম পর্বের সামাজিক নাটক: রামনারায়ণ তর্করত্ন, উমেশচন্দ্র মিত্র, দীনবন্ধু মিত্র ও অন্যান্য]]
## [[/সামাজিক ও পারিবারিক নাটক#দ্বিতীয় পর্বের সামাজিক ও পারিবারিক নাটক|দ্বিতীয় পর্বের সামাজিক ও পারিবারিক নাটক: উপেন্দ্রনাথ দাস, গিরিশচন্দ্র ঘোষ, দ্বিজেন্দ্রলাল রায় ও অন্যান্য]]
## [[/সামাজিক ও পারিবারিক নাটক#তৃতীয় পর্বের পারিবারিক নাটক|তৃতীয় পর্বের পারিবারিক নাটক: শচীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত, জলধর চট্টোপাধ্যায়, মহেন্দ্র গুপ্ত ও বিধায়ক ভট্টাচার্য]]
## [[/সামাজিক ও পারিবারিক নাটক#চতুর্থ পর্বের আধুনিক সমাজ-সচেতন নাটক|চতুর্থ পর্বের আধুনিক সমাজ-সচেতন নাটক: বিজন ভট্টাচার্য, তুলসী লাহিড়ী, সলিল সেন ও অন্যান্য]]
# [[/প্রহসন|বাংলা প্রহসনের বিকাশ]]
## [[/প্রহসন#প্রথম পর্বের প্রহসন: রামনারায়ণ তর্করত্ন, কালীপ্রসন্ন সিংহ, মাইকেল মধুসূদন দত্ত, দীনবন্ধু মিত্র ও জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর|প্রথম পর্বের প্রহসন: রামনারায়ণ তর্করত্ন, কালীপ্রসন্ন সিংহ, মাইকেল মধুসূদন দত্ত, দীনবন্ধু মিত্র ও জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর]]
## [[/প্রহসন#দ্বিতীয় পর্বের প্রহসন: গিরিশচন্দ্র ঘোষ, অমৃতলাল বসু, দ্বিজেন্দ্রলাল রায়, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর|দ্বিতীয় পর্বের প্রহসন: গিরিশচন্দ্র ঘোষ, অমৃতলাল বসু, দ্বিজেন্দ্রলাল রায়, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর]]
## [[/প্রহসন#তৃতীয় পর্বের প্রহসন: রবীন্দ্রনাথ মৈত্র, প্রমথনাথ বিশী, বিধায়ক ভট্টাচার্য প্রমুখ|তৃতীয় পর্বের প্রহসন: রবীন্দ্রনাথ মৈত্র, প্রমথনাথ বিশী, বিধায়ক ভট্টাচার্য প্রমুখ]]
=== পর্ব ৪: আধুনিক বাংলা কাব্যসাহিত্য ===
# [[/কবিওয়ালা|কবিওয়ালা]]
# [[/ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত|ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত]]
# [[/মদনমোহন তর্কালঙ্কার|মদনমোহন তর্কালঙ্কার]]
# [[/উনিশ শতকের মহাকাব্য ও আখ্যানকাব্য|উনিশ শতকের বাংলা মহাকাব্য ও আখ্যানকাব্য]]
## [[/উনিশ শতকের মহাকাব্য ও আখ্যানকাব্য#আখ্যানকাব্যের বৈশিষ্ট্য|আখ্যানকাব্যের বৈশিষ্ট্য]]
## [[/উনিশ শতকের মহাকাব্য ও আখ্যানকাব্য#মহাকাব্যের বৈশিষ্ট্য|মহাকাব্যের বৈশিষ্ট্য]]
### [[/উনিশ শতকের মহাকাব্য ও আখ্যানকাব্য#মাইকেল মধুসূদন দত্তের মহাকাব্য|মাইকেল মধুসূদন দত্তের মহাকাব্য]]
### [[/উনিশ শতকের মহাকাব্য ও আখ্যানকাব্য#হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের মহাকাব্য ও আখ্যানকাব্য|হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের মহাকাব্য ও আখ্যানকাব্য]]
### [[/উনিশ শতকের মহাকাব্য ও আখ্যানকাব্য#নবীনচন্দ্র সেনের মহাকাব্য ও আখ্যানকাব্য|নবীনচন্দ্র সেনের মহাকাব্য ও আখ্যানকাব্য]]
## [[/উনিশ শতকের মহাকাব্য ও আখ্যানকাব্য#বাংলা মহাকাব্যের পরিণতি|বাংলা মহাকাব্যের পরিণতি]]
## [[/উনিশ শতকের মহাকাব্য ও আখ্যানকাব্য#বাংলা আখ্যানকাব্যের পরিণতি|বাংলা আখ্যানকাব্যের পরিণতি]]
# [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের কাব্যসাহিত্য|মাইকেল মধুসূদন দত্ত]]
## [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের কাব্যসাহিত্য#কাব্যসাহিত্য|কাব্যসাহিত্য]]
### [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের কাব্যসাহিত্য#তিলোত্তমাসম্ভব কাব্য|''তিলোত্তমাসম্ভব কাব্য'']]
### [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের কাব্যসাহিত্য#মেঘনাদবধ কাব্য|''মেঘনাদবধ কাব্য'']]
### [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের কাব্যসাহিত্য#ব্রজাঙ্গনা কাব্য|''ব্রজাঙ্গনা কাব্য'']]
### [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের কাব্যসাহিত্য#বীরাঙ্গনা কাব্য|''বীরাঙ্গনা কাব্য'']]
### [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের কাব্যসাহিত্য#চতুর্দশপদী কবিতাবলী|''চতুর্দশপদী কবিতাবলী'']]
## [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের কাব্যসাহিত্য#মূল্যায়ন|মূল্যায়ন]]
# [[/হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়|হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়]]
# [[/নবীনচন্দ্র সেন|নবীনচন্দ্র সেন]]
# [[/বিহারীলাল চক্রবর্তী|বিহারীলাল চক্রবর্তী]]
## [[/বিহারীলাল চক্রবর্তী#রচনাবলি|রচনাবলি]]
## [[/বিহারীলাল চক্রবর্তী#কবিপ্রতিভার বৈশিষ্ট্য|কবিপ্রতিভার বৈশিষ্ট্য]]
## [[/বিহারীলাল চক্রবর্তী#শৈল্পিক ত্রুটি|শৈল্পিক ত্রুটি]]
## [[/বিহারীলাল চক্রবর্তী#বিশুদ্ধ গীতিকবিতার জনক বিহারীলাল|বিশুদ্ধ গীতিকবিতার জনক বিহারীলাল]]
# [[/আখ্যানকাব্য ও গীতিকাব্যের ধারা ও পরিণাম|বাংলা আখ্যানকাব্য ও গীতিকাব্যের ধারা ও পরিণাম]]
# [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক কবিগণ|রবীন্দ্র-সমসাময়িক কবিগণ]]
## [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক কবিগণ#রবীন্দ্র-পরিমণ্ডলের অন্তর্ভুক্ত কবিগণ|রবীন্দ্র-পরিমণ্ডলের অন্তর্ভুক্ত কবিগণ]]
## [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক কবিগণ#রবীন্দ্র-প্রভাবিক কবিগোষ্ঠী|রবীন্দ্র-প্রভাবিক কবিগোষ্ঠী]]
### [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক কবিগণ#দ্বিজেন্দ্রলাল রায়|দ্বিজেন্দ্রলাল রায়]]
### [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক কবিগণ#সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত|সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত]]
### [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক কবিগণ#করুণানিধন বন্দ্যোপাধ্যায়|করুণানিধন বন্দ্যোপাধ্যায়]]
### [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক কবিগণ#যতীন্দ্রমোহন বাগচি|যতীন্দ্রমোহন বাগচি]]
### [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক কবিগণ#কুমুদরঞ্জন মল্লিক, কালিদাস রায় ও কিরণধন চট্টোপাধ্যায়|কুমুদরঞ্জন মল্লিক, কালিদাস রায় ও কিরণধন চট্টোপাধ্যায়]]
## [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক কবিগণ#রবীন্দ্রবিরোধী কবিগোষ্ঠী|রবীন্দ্রবিরোধী কবিগোষ্ঠী]]
### [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক কবিগণ#মোহিতলাল মজুমদার|মোহিতলাল মজুমদার]]
### [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক কবিগণ#যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত|যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত]]
### [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক কবিগণ#কাজী নজরুল ইসলাম|কাজী নজরুল ইসলাম]]
# [[/উনিশ শতকের মহিলা কবিগণ|উনিশ শতকের মহিলা কবিগণ]]
## [[/উনিশ শতকের মহিলা কবিগণ#মোক্ষদায়িনী মুখোপাধ্যায়|মোক্ষদায়িনী মুখোপাধ্যায়]]
## [[/উনিশ শতকের মহিলা কবিগণ#স্বর্ণকুমারী দেবী|স্বর্ণকুমারী দেবী]]
## [[/উনিশ শতকের মহিলা কবিগণ#গিরীন্দ্রমোহিনী দাসী|গিরীন্দ্রমোহিনী দাসী]]
## [[/উনিশ শতকের মহিলা কবিগণ#মানকুমারী বসু|মানকুমারী বসু]]
## [[/উনিশ শতকের মহিলা কবিগণ#কামিনী রায়|কামিনী রায়]]
## [[/উনিশ শতকের মহিলা কবিগণ#সরোজকুমারী দেবী|সরোজকুমারী দেবী]]
## [[/উনিশ শতকের মহিলা কবিগণ#অন্যান্য মহিলা কবিগণ|অন্যান্য মহিলা কবিগণ]]
# [[/রবীন্দ্র-পরবর্তী বাংলা কবিতা|রবীন্দ্র-পরবর্তী বাংলা কবিতা]]
## [[/রবীন্দ্র-পরবর্তী বাংলা কবিতা#বুদ্ধদেব বসু|বুদ্ধদেব বসু]]
## [[/রবীন্দ্র-পরবর্তী বাংলা কবিতা#জীবনানন্দ দাশ|জীবনানন্দ দাশ]]
## [[/রবীন্দ্র-পরবর্তী বাংলা কবিতা#অজিত দত্ত|অজিত দত্ত]]
## [[/রবীন্দ্র-পরবর্তী বাংলা কবিতা#সুধীন্দ্রনাথ দত্ত|সুধীন্দ্রনাথ দত্ত]]
## [[/রবীন্দ্র-পরবর্তী বাংলা কবিতা#বিষ্ণু দে|বিষ্ণু দে]]
## [[/রবীন্দ্র-পরবর্তী বাংলা কবিতা#প্রেমেন্দ্র মিত্র|প্রেমেন্দ্র মিত্র]]
## [[/রবীন্দ্র-পরবর্তী বাংলা কবিতা#অমিয় চক্রবর্তী|অমিয় চক্রবর্তী]]
## [[/রবীন্দ্র-পরবর্তী বাংলা কবিতা#সমর সেন|সমর সেন]]
## [[/রবীন্দ্র-পরবর্তী বাংলা কবিতা#সুকান্ত ভট্টাচার্য|সুকান্ত ভট্টাচার্য]]
## [[/রবীন্দ্র-পরবর্তী বাংলা কবিতা#অন্যান্য কবিগণ|অন্যান্য কবিগণ]]
=== পর্ব ৫: রবীন্দ্রসাহিত্য ===
# [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতা|কবিতা]]
# [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক|নাটক]]
## [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#রবীন্দ্রনাথের গীতিনাট্য: বাল্মীকিপ্রতিভা, কালমৃগয়া ও মায়ার খেলা|রবীন্দ্রনাথের গীতিনাট্য: ''বাল্মীকিপ্রতিভা'', ''কালমৃগয়া'' ও ''মায়ার খেলা'']]
## [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#রবীন্দ্রনাথের কাব্যনাট্য|কাব্যনাট্য]]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#প্রকৃতির প্রতিশোধ|''প্রকৃতির প্রতিশোধ'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#চিত্রাঙ্গদা|''চিত্রাঙ্গদা'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#বিদায় অভিশাপ|''বিদায় অভিশাপ'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#কাহিনী গ্রন্থের কাব্যনাট্যসমূহ|''কাহিনী'' গ্রন্থের কাব্যনাট্যসমূহ: "গান্ধারীর আবেদন", "সতী", "নরকবাস", "লক্ষ্মীর পরীক্ষা" ও "কর্ণকুন্তীসংবাদ"]]
## [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#রবীন্দ্রনাথের প্রথানুগ নাটক|প্রথানুগ নাটক]]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#রাজা ও রানী ও তপতী|''রাজা ও রানী'' ও ''তপতী'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#বিসর্জন|''বিসর্জন'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#মালিনী|''মালিনী'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#প্রায়শ্চিত্ত ও পরিত্রাণ|''প্রায়শ্চিত্ত'' ও ''পরিত্রাণ'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#রবীন্দ্রনাথের পারিবারিক নাটক: গৃহপ্রবেশ ও শোধবোধ|রবীন্দ্রনাথের পারিবারিক নাটক: ''গৃহপ্রবেশ'' ও ''শোধবোধ'']]
## [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#রবীন্দ্রনাথের প্রহসন বা কৌতুকনাট্য|প্রহসন বা কৌতুকনাট্য]]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#গোড়ায় গলদ ও শেষরক্ষা|''গোড়ায় গলদ'' ও ''শেষরক্ষা'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#বৈকুণ্ঠের খাতা|''বৈকুণ্ঠের খাতা'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#হাস্যকৌতুক ও ব্যঙ্গকৌতুক|''হাস্যকৌতুক'' ও ''ব্যঙ্গকৌতুক'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#চিরকুমার সভা|''চিরকুমার সভা'']]
## [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#রবীন্দ্রনাথের রূপক-সাংকেতিক নাটক|রূপক-সাংকেতিক নাটক]]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#শারদোৎসব ও ঋণশোধ|''শারদোৎসব'' ও ''ঋণশোধ'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#রাজা ও অরূপরতন|''রাজা'' ও ''অরূপরতন'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#অচলায়তন ও গুরু|''অচলায়তন'' ও ''গুরু'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#ডাকঘর|''ডাকঘর'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#ফাল্গুনী|''ফাল্গুনী'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#মুক্তধারা|''মুক্তধারা'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#রক্তকরবী|''রক্তকরবী'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#রথের রশি ও তাসের দেশ|''রথের রশি'' ও ''তাসের দেশ'']]
# [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উপন্যাস|উপন্যাস]]
# [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছোটোগল্প|ছোটোগল্প]]
# [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রবন্ধসাহিত্য|প্রবন্ধসাহিত্য]]
## [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রবন্ধসাহিত্য#প্রবন্ধসাহিত্যের শ্রেণিবিভাগ|প্রবন্ধসাহিত্যের শ্রেণিবিভাগ]]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রবন্ধসাহিত্য#প্রবন্ধসাহিত্যের শ্রেণিবিভাগ|প্রবন্ধসাহিত্যের শ্রেণিবিভাগ]]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রবন্ধসাহিত্য#সমালোচনা, সাহিত্যতত্ত্ব ও সাহিত্য আলোচনা-বিষয়ক প্রবন্ধ|সমালোচনা, সাহিত্যতত্ত্ব ও সাহিত্য আলোচনা-বিষয়ক প্রবন্ধ]]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রবন্ধসাহিত্য#শিক্ষা, সমাজ ও রাজনীতি-বিষয়ক প্রবন্ধ|শিক্ষা, সমাজ ও রাজনীতি-বিষয়ক প্রবন্ধ]]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রবন্ধসাহিত্য#ধর্ম, দর্শন ও অধ্যাত্ম-বিষয়ক প্রবন্ধ|ধর্ম, দর্শন ও অধ্যাত্ম-বিষয়ক প্রবন্ধ]]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রবন্ধসাহিত্য#ভ্রমণসাহিত্য|ভ্রমণসাহিত্য]]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রবন্ধসাহিত্য#পত্রসাহিত্য|পত্রসাহিত্য]]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রবন্ধসাহিত্য#আত্মকথা ও জীবনী|আত্মকথা ও জীবনী]]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রবন্ধসাহিত্য#আবেগধর্মী প্রবন্ধ|আবেগধর্মী প্রবন্ধ]]
## [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রবন্ধসাহিত্য#মূল্যায়ন|মূল্যায়ন]]
# [[/রবীন্দ্রসংগীত|রবীন্দ্রসংগীত]]
{{বিষয়|বাংলা সাহিত্য}}
{{বর্ণানুক্রমিক|আ}}
{{বিষয়|সাহিত্য}}
{{বইয়ের বিষয়শ্রেণী}}
pns4datt30tztmvy4xiu5g8g92kv2ub
84411
84409
2025-06-16T12:52:27Z
Jonoikobangali
676
/* পর্ব ২: বাংলা উপন্যাস ও ছোটোগল্প */
84411
wikitext
text/x-wiki
{{অবস্থা|৫০%}}<p align=center><font size=7 color="DarkBlue"><b>আধুনিক বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস</b></font></p>
==সূচিপত্র==
=== ভূমিকা ===
# [[/আধুনিক যুগের সূত্রপাত|বাংলা সাহিত্যে আধুনিক যুগের সূত্রপাত]]
## [[/আধুনিক যুগের সূত্রপাত#আধুনিকতার লক্ষণ|আধুনিকতার লক্ষণ]]
### [[/আধুনিক যুগের সূত্রপাত#মানবতাবোধ|মানবতাবোধ]]
### [[/আধুনিক যুগের সূত্রপাত#জাতীয়তাবোধ|জাতীয়তাবোধ]]
### [[/আধুনিক যুগের সূত্রপাত#বৈজ্ঞানিক চেতনা ও যুক্তিবাদ|বৈজ্ঞানিক চেতনা ও যুক্তিবাদ]]
## [[/আধুনিক যুগের সূত্রপাত#আধুনিক সাহিত্যের বিকাশ|আধুনিক সাহিত্যের বিকাশ]]
### [[/আধুনিক যুগের সূত্রপাত#গদ্যসাহিত্য|গদ্যসাহিত্য]]
### [[/আধুনিক যুগের সূত্রপাত#কথাসাহিত্য|কথাসাহিত্য]]
### [[/আধুনিক যুগের সূত্রপাত#কাব্যসাহিত্য|কাব্যসাহিত্য]]
### [[/আধুনিক যুগের সূত্রপাত#নাট্যসাহিত্য|নাট্যসাহিত্য]]
## [[/আধুনিক যুগের সূত্রপাত#মূল্যায়ন|মূল্যায়ন]]
=== পর্ব ১: বাংলা গদ্যসাহিত্য ===
# [[/গদ্যসাহিত্যের সূত্রপাত|বাংলা গদ্যসাহিত্যের সূত্রপাত (উনিশ শতকের পূর্ববর্তী বাংলা গদ্যসাহিত্য)]]
## [[/গদ্যসাহিত্যের সূত্রপাত#কোচবিহারের রাজার চিঠি ও অন্যান্য দলিল|কোচবিহারের রাজার চিঠি ও অন্যান্য দলিল]]
## [[/গদ্যসাহিত্যের সূত্রপাত#বৈষ্ণব নিবন্ধে গদ্য|বৈষ্ণব নিবন্ধে গদ্য]]
## [[/গদ্যসাহিত্যের সূত্রপাত#দোমিঙ্গো দে সোসা|দোমিঙ্গো দে সোসা]]
## [[/গদ্যসাহিত্যের সূত্রপাত#দোম আন্তোনিও দে রোজারিও: ব্রাহ্মণ-রোমান-ক্যাথলিক-সংবাদ|দোম আন্তোনিও দে রোজারিও: ''ব্রাহ্মণ-রোমান-ক্যাথলিক-সংবাদ'']]
## [[/গদ্যসাহিত্যের সূত্রপাত#মানোএল দ্য আস্মুম্পসাঁউ: কৃপার শাস্ত্রের অর্থভেদ|মানোএল দ্য আস্মুম্পসাঁউ: ''কৃপার শাস্ত্রের অর্থভেদ'']]
## [[/গদ্যসাহিত্যের সূত্রপাত#অন্যান্য নিদর্শন|অন্যান্য নিদর্শন]]
## [[/গদ্যসাহিত্যের সূত্রপাত#দেশীয় লেখকদের কৃতিত্ব|দেশীয় লেখকদের কৃতিত্ব]]
# [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ|শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ]]
## [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ#শ্রীরামপুর ব্যাপটিস্ট মিশন|শ্রীরামপুর ব্যাপটিস্ট মিশন]]
### [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ#শ্রীরামপুর ব্যাপটিস্ট মিশন প্রতিষ্ঠা|শ্রীরামপুর ব্যাপটিস্ট মিশন প্রতিষ্ঠা]]
### [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ#বাইবেল অনুবাদ|বাইবেল অনুবাদ]]
### [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ#ছাপাখানা প্রতিষ্ঠা ও সাময়িকপত্র|ছাপাখানা প্রতিষ্ঠা ও সাময়িকপত্র]]
### [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ#মিশনারিদের রচনার বৈশিষ্ট্য|মিশনারিদের রচনার বৈশিষ্ট্য]]
## [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ#ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ|ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ]]
### [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ#ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের প্রতিষ্ঠা|ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের প্রতিষ্ঠা]]
### [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ#পণ্ডিত-মুন্সিদের রচনা|পণ্ডিত-মুন্সিদের রচনা]]
#### [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ#উইলিয়াম কেরি|উইলিয়াম কেরি]]
#### [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ#রামরাম বসু|রামরাম বসু]]
#### [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ#মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার|মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার]]
#### [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ#অন্যান্য লেখকবর্গ|অন্যান্য লেখকবর্গ]]
### [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ#পণ্ডিত-মুন্সিদের গদ্যের রচনার বৈশিষ্ট্য|পণ্ডিত-মুন্সিদের গদ্যের রচনার বৈশিষ্ট্য]]
## [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ#মিশনারি ও কলেজের পণ্ডিত-মুন্সিদের গদ্যচর্চার তুলনা|মিশনারি ও কলেজের পণ্ডিত-মুন্সিদের গদ্যচর্চার তুলনা]]
# [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র|উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র]]
## [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#সংবাদপত্রের সূচনা|সংবাদপত্রের সূচনা]]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#দিগ্দর্শন|দিগ্দর্শন]]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#সমাচার-দর্পণ|সমাচার-দর্পণ]]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#গঙ্গাকিশোর ভট্টাচার্যের বেঙ্গল গেজেট|গঙ্গাকিশোর ভট্টাচার্যের ''বেঙ্গল গেজেট'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#সম্বাদ কৌমুদী|''সম্বাদ কৌমুদী'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#সমাচার-চন্দ্রিকা|''সমাচার-চন্দ্রিকা'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#সংবাদ প্রভাকর|''সংবাদ প্রভাকর'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা|''তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#উনিশ শতকের প্রথমার্ধের অন্যান্য পত্রপত্রিকা|উনিশ শতকের প্রথমার্ধের অন্যান্য পত্রপত্রিকা]]
## [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#উনিশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধের পত্রপত্রিকা|উনিশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধের পত্রপত্রিকা]]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#বিবিধার্থ সংগ্রহ|''বিবিধার্থ সংগ্রহ'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#মাসিক পত্রিকা|''মাসিক পত্রিকা'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#এডুকেশন গেজেট|''এডুকেশন গেজেট'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#সোমপ্রকাশ|''সোমপ্রকাশ'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#রহস্য-সন্দর্ভ|''রহস্য-সন্দর্ভ'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#অবোধবন্ধু|''অবোধবন্ধু'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#বঙ্গদর্শন|''বঙ্গদর্শন'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#প্রচার|''প্রচার'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#নবজীবন|''নবজীবন'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#ভারতী|''ভারতী'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#বালক|''বালক'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#সাধনা|''সাধনা'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#বঙ্গবাসী|''বঙ্গবাসী'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#হিতবাদী|''হিতবাদী'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#জন্মভূমি|''জন্মভূমি'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#বামাবোধিনী|''বামাবোধিনী'']]
## [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#পত্রিকাকেন্দ্রিক লেখকগোষ্ঠী|পত্রিকাকেন্দ্রিক লেখকগোষ্ঠী]]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#তত্ত্ববোধিনী গোষ্ঠী|তত্ত্ববোধিনী গোষ্ঠী]]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#বঙ্গদর্শন গোষ্ঠী|বঙ্গদর্শন গোষ্ঠী]]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#ভারতী ও সাধনা গোষ্ঠী|ভারতী ও সাধনা গোষ্ঠী]]
## [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#অবদান|অবদান]]
# [[/রাজা রামমোহন রায়|রাজা রামমোহন রায়]]
## [[/রাজা রামমোহন রায়#রামমোহন রায়ের রচনাবলি|রামমোহন রায়ের রচনাবলি]]
## [[/রাজা রামমোহন রায়#রামমোহন রায়ের গদ্যরীতি|রামমোহন রায়ের গদ্যরীতি]]
## [[/রাজা রামমোহন রায়#গদ্যশিল্পে রামমোহন রায়ের প্রভাব|গদ্যশিল্পে রামমোহন রায়ের প্রভাব]]
# [[/অক্ষয়কুমার দত্ত|অক্ষয়কুমার দত্ত]]
# [[/ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর|ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর]]
## [[/ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর#অনুবাদ সাহিত্য|অনুবাদ সাহিত্য]]
## [[/ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর#মৌলিক রচনা|মৌলিক রচনা]]
## [[/ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর#বিদ্যাসাগরের গদ্যরীতির বৈশিষ্ট্য|বিদ্যাসাগরের গদ্যরীতির বৈশিষ্ট্য]]
## [[/ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর#‘বাংলা গদ্যের জনক’|‘বাংলা গদ্যের জনক’]]
# [[/দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর|দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর]]
# [[/ভূদেব মুখোপাধ্যায়|ভূদেব মুখোপাধ্যায়]]
# [[/রাজনারায়ণ বসু|রাজনারায়ণ বসু]]
# [[/বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রবন্ধসাহিত্য|বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রবন্ধসাহিত্য]]
## [[/বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রবন্ধসাহিত্য#বঙ্কিমচন্দ্রের প্রবন্ধসাহিত্যে বৈচিত্র্য|বৈচিত্র্য]]
## [[/বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রবন্ধসাহিত্য#জ্ঞানচর্চামূলক প্রবন্ধ|জ্ঞানচর্চামূলক প্রবন্ধ]]
## [[/বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রবন্ধসাহিত্য#বিচারমূলক প্রবন্ধ|বিচারমূলক প্রবন্ধ]]
## [[/বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রবন্ধসাহিত্য#রসব্যঞ্জনামূলক প্রবন্ধ|রসব্যঞ্জনামূলক প্রবন্ধ]]
## [[/বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রবন্ধসাহিত্য#প্রবন্ধসাহিত্যে বঙ্কিমচন্দ্রের অবদান|অবদান]]
# [[/বঙ্কিম-সমকালীন প্রাবন্ধিক গোষ্ঠী|বঙ্কিম-সমকালীন প্রাবন্ধিক গোষ্ঠী]]
# [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক বাংলা প্রবন্ধসাহিত্য|রবীন্দ্র-সমসাময়িক প্রবন্ধসাহিত্য]]
## [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক বাংলা প্রবন্ধসাহিত্য#বলেন্দ্রনাথ ঠাকুর|বলেন্দ্রনাথ ঠাকুর]]
## [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক বাংলা প্রবন্ধসাহিত্য#অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর|অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর]]
## [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক বাংলা প্রবন্ধসাহিত্য#রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদী|রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদী]]
## [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক বাংলা প্রবন্ধসাহিত্য#প্রমথ চৌধুরী|প্রমথ চৌধুরী]]
## [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক বাংলা প্রবন্ধসাহিত্য#পাঁচকড়ি বন্দ্যোপাধ্যায়|পাঁচকড়ি বন্দ্যোপাধ্যায়]]
## [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক বাংলা প্রবন্ধসাহিত্য#মোহিতলাল মজুমদার|মোহিতলাল মজুমদার]]
## [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক বাংলা প্রবন্ধসাহিত্য#রবীন্দ্র-পরবর্তীকালের বাংলা প্রবন্ধসাহিত্য|রবীন্দ্র-পরবর্তীকালের বাংলা প্রবন্ধসাহিত্য]]
===পরিশিষ্ট: বাংলা গদ্যসাহিত্য===
# [[/রামমোহন, বিদ্যাসাগর ও অক্ষয়কুমারের অবদান|রামমোহন, বিদ্যাসাগর ও অক্ষয়কুমারের অবদান]]
# [[/বাংলা গদ্যে আলালী ও বিদ্যাসাগরী রীতির বিবর্তন|বাংলা গদ্যে আলালী ও বিদ্যাসাগরী রীতির বিবর্তন]]
# [[/বাংলা গদ্যে চলিত রীতির বিবর্তন|বাংলা গদ্যে চলিত রীতি বিবর্তন]]
# [[/ভূদেব মুখোপাধ্যায় ও বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়|ভূদেব মুখোপাধ্যায় ও বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়]]
=== পর্ব ২: বাংলা উপন্যাস ও ছোটোগল্প ===
# [[/উপন্যাসের সূত্রপাত|বাংলা সাহিত্যে উপন্যাসের সূত্রপাত]]
## [[/উপন্যাসের সূত্রপাত#উপন্যাসের সূত্রপাত|উপন্যাসের সূত্রপাত]]
## [[/উপন্যাসের সূত্রপাত#উপন্যাস রচনার প্রথম প্রচেষ্টা|উপন্যাস রচনার প্রথম প্রচেষ্টা]]
## [[/উপন্যাসের সূত্রপাত#হানা ক্যাথারিন মুলেন্সের ফুলমণি ও করুণার বৃত্তান্ত|হানা ক্যাথারিন মুলেন্সের ''ফুলমণি ও করুণার বৃত্তান্ত'']]
## [[/উপন্যাসের সূত্রপাত#প্যারীচাঁদ মিত্রের আলালের ঘরের দুলাল|প্যারীচাঁদ মিত্রের ''আলালের ঘরের দুলাল'']]
## [[/উপন্যাসের সূত্রপাত#কালীপ্রসন্ন সিংহের হুতোম প্যাঁচার নক্সা|কালীপ্রসন্ন সিংহের ''হুতোম প্যাঁচার নক্সা'']]
## [[/উপন্যাসের সূত্রপাত#রোম্যান্স রচনার সূত্রপাত|রোম্যান্স রচনার সূত্রপাত: ভূদেব মুখোপাধ্যায়, কৃষ্ণকমল ভট্টাচার্য ও গোপীমোহন ঘোষ]]
## [[/উপন্যাসের সূত্রপাত#সূচনা পর্বের উপন্যাসের সাহিত্যমূল্য|সূচনা পর্বের উপন্যাসের সাহিত্যমূল্য]]
# [[/বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের উপন্যাস|বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের উপন্যাস]]
# [[/বঙ্কিম-সমকালীন ঔপন্যাসিক গোষ্ঠী|বঙ্কিম-সমকালীন ঔপন্যাসিক গোষ্ঠী]]
## [[/বঙ্কিম-সমকালীন ঔপন্যাসিক গোষ্ঠী#রমেশচন্দ্র দত্ত|রমেশচন্দ্র দত্ত]]
## [[/বঙ্কিম-সমকালীন ঔপন্যাসিক গোষ্ঠী#সঞ্জীবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়|সঞ্জীবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়]]
## [[/বঙ্কিম-সমকালীন ঔপন্যাসিক গোষ্ঠী#তারকনাথ গঙ্গোপাধ্যায়|তারকনাথ গঙ্গোপাধ্যায়]]
# [[/বিশ শতকের বাংলা উপন্যাস|বিশ শতকের বাংলা উপন্যাস]]
# [[/প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়ের উপন্যাস|প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়ের উপন্যাস]]
# [[/শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের উপন্যাস|শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের উপন্যাস]]
# [[/শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ছোটোগল্প|শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ছোটোগল্প]]
# [[/বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়|বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়]]
# [[/তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়|তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়]]
# [[/মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়|মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়]]
# [[/বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায়|বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায়]]
# [[/দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী যুগের ছোটোগল্প ও উপন্যাস|দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী যুগের ছোটোগল্প ও উপন্যাস]]
## [[/দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী যুগের ছোটোগল্প ও উপন্যাস#হৃদয়বৃত্তিমূলক কথাসাহিত্য|হৃদয়বৃত্তিমূলক কথাসাহিত্য]]
## [[/দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী যুগের ছোটোগল্প ও উপন্যাস#চিন্তামূলক মননশীল কথাসাহিত্য|চিন্তামূলক মননশীল কথাসাহিত্য]]
## [[/দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী যুগের ছোটোগল্প ও উপন্যাস#বিকৃত-চিন্তামূলক বিদ্রোহাত্মক কথাসাহিত্য|বিকৃত-চিন্তামূলক বিদ্রোহাত্মক কথাসাহিত্য]]
## [[/দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী যুগের ছোটোগল্প ও উপন্যাস#বাস্তববুদ্ধিমূলক মানবিক কথাসাহিত্য|বাস্তববুদ্ধিমূলক মানবিক কথাসাহিত্য]]
## [[/দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী যুগের ছোটোগল্প ও উপন্যাস#কৌতুকরসাত্মক কথাসাহিত্য|কৌতুকরসাত্মক কথাসাহিত্য]]
=== পর্ব ৩: বাংলা নাটক ===
# [[/উদ্ভব|বাংলা নাটকের উদ্ভব]]
# [[/নাট্যশালার ইতিহাস|বাংলা নাট্যশালার ইতিহাস]]
# [[/সাধারণ রঙ্গালয় প্রতিষ্ঠার পূর্ববর্তী নাটক|সাধারণ রঙ্গালয় প্রতিষ্ঠার পূর্ববর্তী নাটক]]
# [[/রামনারায়ণ তর্করত্ন|রামনারায়ণ তর্করত্ন]]
## [[/রামনারায়ণ তর্করত্ন#কুলীনকুলসর্বস্ব|''কুলীনকুলসর্বস্ব'']]
## [[/রামনারায়ণ তর্করত্ন#অন্যান্য নাটক|অন্যান্য নাটক]]
## [[/রামনারায়ণ তর্করত্ন#মূল্যায়ন|মূল্যায়ন]]
# [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের নাট্যসাহিত্য|মাইকেল মধুসূদন দত্ত]]
## [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের নাট্যসাহিত্য#প্রাক্-মধুসূদন যুগের বাংলা নাটক ও মধুসূদন|প্রাক্-মধুসূদন যুগের বাংলা নাটক ও মধুসূদন]]
## [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের নাট্যসাহিত্য#পৌরাণিক নাটক|পৌরাণিক নাটক]]
### [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের নাট্যসাহিত্য#''শর্মিষ্ঠা''|''শর্মিষ্ঠা'']]
### [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের নাট্যসাহিত্য#''পদ্মাবতী''|''পদ্মাবতী'']]
## [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের নাট্যসাহিত্য#ঐতিহাসিক নাটক: ট্র্যাজেডি|ঐতিহাসিক নাটক: ট্র্যাজেডি]]
### [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের নাট্যসাহিত্য#''কৃষ্ণকুমারী''|''কৃষ্ণকুমারী'']]
## [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের নাট্যসাহিত্য#প্রহসন|প্রহসন: ''একেই কি বলে সভ্যতা'' ও ''বুড়ো শালিকের ঘাড়ে রোঁ'']]
## [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের নাট্যসাহিত্য#প্রহসন|অন্যান্য নাটক: ''মায়াকানন'' ও ''বিষ না ধনুর্গুণ'']]
## [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের নাট্যসাহিত্য#বাংলা নাটকের ইতিহাসে মাইকেল মধুসূদন দত্তের স্থান|বাংলা নাটকের ইতিহাসে মাইকেল মধুসূদন দত্তের স্থান]]
# [[/দীনবন্ধু মিত্র|দীনবন্ধু মিত্র]]
## [[/দীনবন্ধু মিত্র#সামাজিক নাটক|সামাজিক নাটক]]
### [[/দীনবন্ধু মিত্র#নীলদর্পণ|''নীলদর্পণ'']]
#### [[/দীনবন্ধু মিত্র#নীল বিদ্রোহ ও নীলদর্পণ নাটক|নীল বিদ্রোহ ও ''নীলদর্পণ'' নাটক]]
#### [[/দীনবন্ধু মিত্র#নীলদর্পণ নাটকের সংক্ষিপ্ত কাহিনি|''নীলদর্পণ'' নাটকের সংক্ষিপ্ত কাহিনি]]
#### [[/দীনবন্ধু মিত্র#সমালোচনা|সমালোচনা]]
## [[/দীনবন্ধু মিত্র#অন্যান্য নাটক|অন্যান্য নাটক]]
### [[/দীনবন্ধু মিত্র#প্রহসন|প্রহসন]]
#### [[/দীনবন্ধু মিত্র#সধবার একাদশী ও নিমচাঁদ চরিত্র|''সধবার একাদশী'' ও নিমচাঁদ চরিত্র]]
## [[/দীনবন্ধু মিত্র#বাংলা নাট্যসাহিত্যে দীনবন্ধু মিত্রের অবদান|বাংলা নাট্যসাহিত্যে দীনবন্ধু মিত্রের অবদান]]
# [[/মনোমোহন বসু|মনোমোহন বসু]]
# [[/জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর|জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর]]
## [[/জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর#জ্যোতিরিন্দ্রনাথের ঐতিহাসিক নাটক|ঐতিহাসিক নাটক]]
## [[/জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর#জ্যোতিরিন্দ্রনাথের প্রহসন|প্রহসন]]
## [[/জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর#জ্যোতিরিন্দ্রনাথের অনুবাদ নাটক|অনুবাদ নাটক]]
# [[/উপেন্দ্রনাথ দাস|উপেন্দ্রনাথ দাস]]
# [[/রাজকৃষ্ণ রায়|রাজকৃষ্ণ রায়]]
# [[/গিরিশচন্দ্র ঘোষ|গিরিশচন্দ্র ঘোষ]]
# [[/অমৃতলাল বসু|অমৃতলাল বসু]]
# [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়|দ্বিজেন্দ্রলাল রায়]]
## [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#প্রহসন|প্রহসন]]
### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#কল্কি অবতার|''কল্কি অবতার'']]
### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#বিরহ|''বিরহ'']]
### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#ত্র্যহস্পর্শ|''ত্র্যহস্পর্শ'']]
### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#প্রায়শ্চিত্ত|''প্রায়শ্চিত্ত'']]
### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#পুনর্জন্ম|''পুনর্জন্ম'']]
### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#আনন্দবিদায়|''আনন্দবিদায়'']]
## [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#পৌরাণিক নাটক|পৌরাণিক নাটক]]
### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#পাষাণী|''পাষাণী'']]
### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#সীতা|''সীতা'']]
### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#ভীষ্ম|''ভীষ্ম'']]
## [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#সামাজিক নাটক|সামাজিক নাটক]]
### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#পরপারে|''পরপারে'']]
### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#বঙ্গনারী|''বঙ্গনারী'']]
## [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#অপেরা|অপেরা]]
### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#সোরাব-রুস্তম|''সোরাব-রুস্তম'']]
## [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#ঐতিহাসিক নাটক|ঐতিহাসিক নাটক]]
### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#রাজপুত ইতিহাস-নির্ভর ঐতিহাসিক নাটক|রাজপুত ইতিহাস-নির্ভর ঐতিহাসিক নাটক]]
#### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#তারাবাঈ|''তারাবাঈ'']]
#### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#রাণা প্রতাপ সিংহ|''রাণা প্রতাপ সিংহ'']]
#### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#দুর্গাদাস|''দুর্গাদাস'']]
#### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#মেবার পতন|''মেবার পতন'']]
### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#অন্যান্য ঐতিহাসিক নাটক|অন্যান্য ঐতিহাসিক নাটক]]
#### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#নূরজাহান|''নূরজাহান'']]
#### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#সাজাহান|''সাজাহান'']]
#### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#চন্দ্রগুপ্ত|''চন্দ্রগুপ্ত'']]
#### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#সিংহল বিজয়|''সিংহল বিজয়'']]
## [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#দ্বিজেন্দ্রলালের নাটকে সংলাপের ভাষা|দ্বিজেন্দ্রলালের নাটকে সংলাপের ভাষা]]
## [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#মূল্যায়ন|মূল্যায়ন]]
# [[/ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ|ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ]]
## [[/ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ#অপেরা বা গীতিমুখর নাটক|অপেরা বা গীতিমুখর নাটক]]
## [[/ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ#পৌরাণিক নাটক|পৌরাণিক নাটক]]
## [[/ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ#কাল্পনিক নাটক|কাল্পনিক নাটক]]
## [[/ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ#অপেরা বা গীতিমুখর নাটক|অপেরা বা গীতিমুখর নাটক]]
## [[/ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ#ঐতিহাসিক নাটক|ঐতিহাসিক নাটক]]
## [[/ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ#মূল্যায়ন|মূল্যায়ন]]
# [[/বিশ শতকের বাংলা নাটক|বিশ শতকের বাংলা নাটক]]
## [[/বিশ শতকের বাংলা নাটক#অপরেশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়|অপরেশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়]]
## [[/বিশ শতকের বাংলা নাটক#গতানুগতিক ধারার নাট্যকারগণ|গতানুগতিক ধারার নাট্যকারগণ]]
## [[/বিশ শতকের বাংলা নাটক#যোগেশচন্দ্র চৌধুরী|যোগেশচন্দ্র চৌধুরী]]
## [[/বিশ শতকের বাংলা নাটক#মন্মথ রায়|মন্মথ রায়]]
## [[/বিশ শতকের বাংলা নাটক#শচীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত|শচীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত]]
## [[/বিশ শতকের বাংলা নাটক#বিধায়ক ভট্টাচার্য|বিধায়ক ভট্টাচার্য]]
## [[/বিশ শতকের বাংলা নাটক#প্রমথনাথ বিশী|প্রমথনাথ বিশী]]
## [[/বিশ শতকের বাংলা নাটক#জীবনী নাটক|জীবনী নাটক]]
## [[/বিশ শতকের বাংলা নাটক#নবনাট্য আন্দোলন|নবনাট্য আন্দোলন]]
## [[/বিশ শতকের বাংলা নাটক#বিদেশি নাটকের বঙ্গীকরণ|বিদেশি নাটকের বঙ্গীকরণ]]
# [[/পৌরাণিক নাটক|বাংলা পৌরাণিক নাটকের বিকাশ]]
## [[/পৌরাণিক নাটক#প্রথম পর্বের বাংলা পৌরাণিক নাটক|প্রথম পর্ব: হরচন্দ্র ঘোষ, কালীপ্রসন্ন সিংহ, মাইকেল মধুসূদন দত্ত ও রামনারায়ণ তর্করত্ন]]
## [[/পৌরাণিক নাটক#দ্বিতীয় পর্বের বাংলা পৌরাণিক নাটক|দ্বিতীয় পর্ব: মনোমোহন বসু, রাজকৃষ্ণ রায়, অতুলকৃষ্ণ মিত্র ও গিরিশচন্দ্র ঘোষ]]
## [[/পৌরাণিক নাটক#তৃতীয় পর্বের বাংলা পৌরাণিক নাটক|তৃতীয় পর্ব: দ্বিজেন্দ্রলাল রায়, ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ, অপরেশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়, ভূপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, যোগেশচন্দ্র চৌধুরী, মন্মথ রায় ও মহেন্দ্র গুপ্ত]]
## [[/পৌরাণিক নাটক#বাংলা পৌরাণিক নাটকের পরিণতি|পরিণতি]]
# [[/ঐতিহাসিক নাটক|বাংলা ঐতিহাসিক নাটকের বিকাশ]]
# [[/সামাজিক ও পারিবারিক নাটক|বাংলা সামাজিক ও পারিবারিক নাটকের বিকাশ]]
## [[/সামাজিক ও পারিবারিক নাটক#প্রথম পর্বের সামাজিক নাটক|প্রথম পর্বের সামাজিক নাটক: রামনারায়ণ তর্করত্ন, উমেশচন্দ্র মিত্র, দীনবন্ধু মিত্র ও অন্যান্য]]
## [[/সামাজিক ও পারিবারিক নাটক#দ্বিতীয় পর্বের সামাজিক ও পারিবারিক নাটক|দ্বিতীয় পর্বের সামাজিক ও পারিবারিক নাটক: উপেন্দ্রনাথ দাস, গিরিশচন্দ্র ঘোষ, দ্বিজেন্দ্রলাল রায় ও অন্যান্য]]
## [[/সামাজিক ও পারিবারিক নাটক#তৃতীয় পর্বের পারিবারিক নাটক|তৃতীয় পর্বের পারিবারিক নাটক: শচীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত, জলধর চট্টোপাধ্যায়, মহেন্দ্র গুপ্ত ও বিধায়ক ভট্টাচার্য]]
## [[/সামাজিক ও পারিবারিক নাটক#চতুর্থ পর্বের আধুনিক সমাজ-সচেতন নাটক|চতুর্থ পর্বের আধুনিক সমাজ-সচেতন নাটক: বিজন ভট্টাচার্য, তুলসী লাহিড়ী, সলিল সেন ও অন্যান্য]]
# [[/প্রহসন|বাংলা প্রহসনের বিকাশ]]
## [[/প্রহসন#প্রথম পর্বের প্রহসন: রামনারায়ণ তর্করত্ন, কালীপ্রসন্ন সিংহ, মাইকেল মধুসূদন দত্ত, দীনবন্ধু মিত্র ও জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর|প্রথম পর্বের প্রহসন: রামনারায়ণ তর্করত্ন, কালীপ্রসন্ন সিংহ, মাইকেল মধুসূদন দত্ত, দীনবন্ধু মিত্র ও জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর]]
## [[/প্রহসন#দ্বিতীয় পর্বের প্রহসন: গিরিশচন্দ্র ঘোষ, অমৃতলাল বসু, দ্বিজেন্দ্রলাল রায়, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর|দ্বিতীয় পর্বের প্রহসন: গিরিশচন্দ্র ঘোষ, অমৃতলাল বসু, দ্বিজেন্দ্রলাল রায়, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর]]
## [[/প্রহসন#তৃতীয় পর্বের প্রহসন: রবীন্দ্রনাথ মৈত্র, প্রমথনাথ বিশী, বিধায়ক ভট্টাচার্য প্রমুখ|তৃতীয় পর্বের প্রহসন: রবীন্দ্রনাথ মৈত্র, প্রমথনাথ বিশী, বিধায়ক ভট্টাচার্য প্রমুখ]]
=== পর্ব ৪: আধুনিক বাংলা কাব্যসাহিত্য ===
# [[/কবিওয়ালা|কবিওয়ালা]]
# [[/ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত|ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত]]
# [[/মদনমোহন তর্কালঙ্কার|মদনমোহন তর্কালঙ্কার]]
# [[/উনিশ শতকের মহাকাব্য ও আখ্যানকাব্য|উনিশ শতকের বাংলা মহাকাব্য ও আখ্যানকাব্য]]
## [[/উনিশ শতকের মহাকাব্য ও আখ্যানকাব্য#আখ্যানকাব্যের বৈশিষ্ট্য|আখ্যানকাব্যের বৈশিষ্ট্য]]
## [[/উনিশ শতকের মহাকাব্য ও আখ্যানকাব্য#মহাকাব্যের বৈশিষ্ট্য|মহাকাব্যের বৈশিষ্ট্য]]
### [[/উনিশ শতকের মহাকাব্য ও আখ্যানকাব্য#মাইকেল মধুসূদন দত্তের মহাকাব্য|মাইকেল মধুসূদন দত্তের মহাকাব্য]]
### [[/উনিশ শতকের মহাকাব্য ও আখ্যানকাব্য#হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের মহাকাব্য ও আখ্যানকাব্য|হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের মহাকাব্য ও আখ্যানকাব্য]]
### [[/উনিশ শতকের মহাকাব্য ও আখ্যানকাব্য#নবীনচন্দ্র সেনের মহাকাব্য ও আখ্যানকাব্য|নবীনচন্দ্র সেনের মহাকাব্য ও আখ্যানকাব্য]]
## [[/উনিশ শতকের মহাকাব্য ও আখ্যানকাব্য#বাংলা মহাকাব্যের পরিণতি|বাংলা মহাকাব্যের পরিণতি]]
## [[/উনিশ শতকের মহাকাব্য ও আখ্যানকাব্য#বাংলা আখ্যানকাব্যের পরিণতি|বাংলা আখ্যানকাব্যের পরিণতি]]
# [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের কাব্যসাহিত্য|মাইকেল মধুসূদন দত্ত]]
## [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের কাব্যসাহিত্য#কাব্যসাহিত্য|কাব্যসাহিত্য]]
### [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের কাব্যসাহিত্য#তিলোত্তমাসম্ভব কাব্য|''তিলোত্তমাসম্ভব কাব্য'']]
### [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের কাব্যসাহিত্য#মেঘনাদবধ কাব্য|''মেঘনাদবধ কাব্য'']]
### [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের কাব্যসাহিত্য#ব্রজাঙ্গনা কাব্য|''ব্রজাঙ্গনা কাব্য'']]
### [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের কাব্যসাহিত্য#বীরাঙ্গনা কাব্য|''বীরাঙ্গনা কাব্য'']]
### [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের কাব্যসাহিত্য#চতুর্দশপদী কবিতাবলী|''চতুর্দশপদী কবিতাবলী'']]
## [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের কাব্যসাহিত্য#মূল্যায়ন|মূল্যায়ন]]
# [[/হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়|হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়]]
# [[/নবীনচন্দ্র সেন|নবীনচন্দ্র সেন]]
# [[/বিহারীলাল চক্রবর্তী|বিহারীলাল চক্রবর্তী]]
## [[/বিহারীলাল চক্রবর্তী#রচনাবলি|রচনাবলি]]
## [[/বিহারীলাল চক্রবর্তী#কবিপ্রতিভার বৈশিষ্ট্য|কবিপ্রতিভার বৈশিষ্ট্য]]
## [[/বিহারীলাল চক্রবর্তী#শৈল্পিক ত্রুটি|শৈল্পিক ত্রুটি]]
## [[/বিহারীলাল চক্রবর্তী#বিশুদ্ধ গীতিকবিতার জনক বিহারীলাল|বিশুদ্ধ গীতিকবিতার জনক বিহারীলাল]]
# [[/আখ্যানকাব্য ও গীতিকাব্যের ধারা ও পরিণাম|বাংলা আখ্যানকাব্য ও গীতিকাব্যের ধারা ও পরিণাম]]
# [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক কবিগণ|রবীন্দ্র-সমসাময়িক কবিগণ]]
## [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক কবিগণ#রবীন্দ্র-পরিমণ্ডলের অন্তর্ভুক্ত কবিগণ|রবীন্দ্র-পরিমণ্ডলের অন্তর্ভুক্ত কবিগণ]]
## [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক কবিগণ#রবীন্দ্র-প্রভাবিক কবিগোষ্ঠী|রবীন্দ্র-প্রভাবিক কবিগোষ্ঠী]]
### [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক কবিগণ#দ্বিজেন্দ্রলাল রায়|দ্বিজেন্দ্রলাল রায়]]
### [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক কবিগণ#সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত|সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত]]
### [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক কবিগণ#করুণানিধন বন্দ্যোপাধ্যায়|করুণানিধন বন্দ্যোপাধ্যায়]]
### [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক কবিগণ#যতীন্দ্রমোহন বাগচি|যতীন্দ্রমোহন বাগচি]]
### [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক কবিগণ#কুমুদরঞ্জন মল্লিক, কালিদাস রায় ও কিরণধন চট্টোপাধ্যায়|কুমুদরঞ্জন মল্লিক, কালিদাস রায় ও কিরণধন চট্টোপাধ্যায়]]
## [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক কবিগণ#রবীন্দ্রবিরোধী কবিগোষ্ঠী|রবীন্দ্রবিরোধী কবিগোষ্ঠী]]
### [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক কবিগণ#মোহিতলাল মজুমদার|মোহিতলাল মজুমদার]]
### [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক কবিগণ#যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত|যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত]]
### [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক কবিগণ#কাজী নজরুল ইসলাম|কাজী নজরুল ইসলাম]]
# [[/উনিশ শতকের মহিলা কবিগণ|উনিশ শতকের মহিলা কবিগণ]]
## [[/উনিশ শতকের মহিলা কবিগণ#মোক্ষদায়িনী মুখোপাধ্যায়|মোক্ষদায়িনী মুখোপাধ্যায়]]
## [[/উনিশ শতকের মহিলা কবিগণ#স্বর্ণকুমারী দেবী|স্বর্ণকুমারী দেবী]]
## [[/উনিশ শতকের মহিলা কবিগণ#গিরীন্দ্রমোহিনী দাসী|গিরীন্দ্রমোহিনী দাসী]]
## [[/উনিশ শতকের মহিলা কবিগণ#মানকুমারী বসু|মানকুমারী বসু]]
## [[/উনিশ শতকের মহিলা কবিগণ#কামিনী রায়|কামিনী রায়]]
## [[/উনিশ শতকের মহিলা কবিগণ#সরোজকুমারী দেবী|সরোজকুমারী দেবী]]
## [[/উনিশ শতকের মহিলা কবিগণ#অন্যান্য মহিলা কবিগণ|অন্যান্য মহিলা কবিগণ]]
# [[/রবীন্দ্র-পরবর্তী বাংলা কবিতা|রবীন্দ্র-পরবর্তী বাংলা কবিতা]]
## [[/রবীন্দ্র-পরবর্তী বাংলা কবিতা#বুদ্ধদেব বসু|বুদ্ধদেব বসু]]
## [[/রবীন্দ্র-পরবর্তী বাংলা কবিতা#জীবনানন্দ দাশ|জীবনানন্দ দাশ]]
## [[/রবীন্দ্র-পরবর্তী বাংলা কবিতা#অজিত দত্ত|অজিত দত্ত]]
## [[/রবীন্দ্র-পরবর্তী বাংলা কবিতা#সুধীন্দ্রনাথ দত্ত|সুধীন্দ্রনাথ দত্ত]]
## [[/রবীন্দ্র-পরবর্তী বাংলা কবিতা#বিষ্ণু দে|বিষ্ণু দে]]
## [[/রবীন্দ্র-পরবর্তী বাংলা কবিতা#প্রেমেন্দ্র মিত্র|প্রেমেন্দ্র মিত্র]]
## [[/রবীন্দ্র-পরবর্তী বাংলা কবিতা#অমিয় চক্রবর্তী|অমিয় চক্রবর্তী]]
## [[/রবীন্দ্র-পরবর্তী বাংলা কবিতা#সমর সেন|সমর সেন]]
## [[/রবীন্দ্র-পরবর্তী বাংলা কবিতা#সুকান্ত ভট্টাচার্য|সুকান্ত ভট্টাচার্য]]
## [[/রবীন্দ্র-পরবর্তী বাংলা কবিতা#অন্যান্য কবিগণ|অন্যান্য কবিগণ]]
=== পর্ব ৫: রবীন্দ্রসাহিত্য ===
# [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতা|কবিতা]]
# [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক|নাটক]]
## [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#রবীন্দ্রনাথের গীতিনাট্য: বাল্মীকিপ্রতিভা, কালমৃগয়া ও মায়ার খেলা|রবীন্দ্রনাথের গীতিনাট্য: ''বাল্মীকিপ্রতিভা'', ''কালমৃগয়া'' ও ''মায়ার খেলা'']]
## [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#রবীন্দ্রনাথের কাব্যনাট্য|কাব্যনাট্য]]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#প্রকৃতির প্রতিশোধ|''প্রকৃতির প্রতিশোধ'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#চিত্রাঙ্গদা|''চিত্রাঙ্গদা'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#বিদায় অভিশাপ|''বিদায় অভিশাপ'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#কাহিনী গ্রন্থের কাব্যনাট্যসমূহ|''কাহিনী'' গ্রন্থের কাব্যনাট্যসমূহ: "গান্ধারীর আবেদন", "সতী", "নরকবাস", "লক্ষ্মীর পরীক্ষা" ও "কর্ণকুন্তীসংবাদ"]]
## [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#রবীন্দ্রনাথের প্রথানুগ নাটক|প্রথানুগ নাটক]]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#রাজা ও রানী ও তপতী|''রাজা ও রানী'' ও ''তপতী'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#বিসর্জন|''বিসর্জন'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#মালিনী|''মালিনী'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#প্রায়শ্চিত্ত ও পরিত্রাণ|''প্রায়শ্চিত্ত'' ও ''পরিত্রাণ'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#রবীন্দ্রনাথের পারিবারিক নাটক: গৃহপ্রবেশ ও শোধবোধ|রবীন্দ্রনাথের পারিবারিক নাটক: ''গৃহপ্রবেশ'' ও ''শোধবোধ'']]
## [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#রবীন্দ্রনাথের প্রহসন বা কৌতুকনাট্য|প্রহসন বা কৌতুকনাট্য]]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#গোড়ায় গলদ ও শেষরক্ষা|''গোড়ায় গলদ'' ও ''শেষরক্ষা'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#বৈকুণ্ঠের খাতা|''বৈকুণ্ঠের খাতা'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#হাস্যকৌতুক ও ব্যঙ্গকৌতুক|''হাস্যকৌতুক'' ও ''ব্যঙ্গকৌতুক'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#চিরকুমার সভা|''চিরকুমার সভা'']]
## [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#রবীন্দ্রনাথের রূপক-সাংকেতিক নাটক|রূপক-সাংকেতিক নাটক]]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#শারদোৎসব ও ঋণশোধ|''শারদোৎসব'' ও ''ঋণশোধ'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#রাজা ও অরূপরতন|''রাজা'' ও ''অরূপরতন'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#অচলায়তন ও গুরু|''অচলায়তন'' ও ''গুরু'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#ডাকঘর|''ডাকঘর'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#ফাল্গুনী|''ফাল্গুনী'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#মুক্তধারা|''মুক্তধারা'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#রক্তকরবী|''রক্তকরবী'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#রথের রশি ও তাসের দেশ|''রথের রশি'' ও ''তাসের দেশ'']]
# [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উপন্যাস|উপন্যাস]]
# [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছোটোগল্প|ছোটোগল্প]]
# [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রবন্ধসাহিত্য|প্রবন্ধসাহিত্য]]
## [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রবন্ধসাহিত্য#প্রবন্ধসাহিত্যের শ্রেণিবিভাগ|প্রবন্ধসাহিত্যের শ্রেণিবিভাগ]]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রবন্ধসাহিত্য#প্রবন্ধসাহিত্যের শ্রেণিবিভাগ|প্রবন্ধসাহিত্যের শ্রেণিবিভাগ]]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রবন্ধসাহিত্য#সমালোচনা, সাহিত্যতত্ত্ব ও সাহিত্য আলোচনা-বিষয়ক প্রবন্ধ|সমালোচনা, সাহিত্যতত্ত্ব ও সাহিত্য আলোচনা-বিষয়ক প্রবন্ধ]]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রবন্ধসাহিত্য#শিক্ষা, সমাজ ও রাজনীতি-বিষয়ক প্রবন্ধ|শিক্ষা, সমাজ ও রাজনীতি-বিষয়ক প্রবন্ধ]]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রবন্ধসাহিত্য#ধর্ম, দর্শন ও অধ্যাত্ম-বিষয়ক প্রবন্ধ|ধর্ম, দর্শন ও অধ্যাত্ম-বিষয়ক প্রবন্ধ]]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রবন্ধসাহিত্য#ভ্রমণসাহিত্য|ভ্রমণসাহিত্য]]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রবন্ধসাহিত্য#পত্রসাহিত্য|পত্রসাহিত্য]]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রবন্ধসাহিত্য#আত্মকথা ও জীবনী|আত্মকথা ও জীবনী]]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রবন্ধসাহিত্য#আবেগধর্মী প্রবন্ধ|আবেগধর্মী প্রবন্ধ]]
## [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রবন্ধসাহিত্য#মূল্যায়ন|মূল্যায়ন]]
# [[/রবীন্দ্রসংগীত|রবীন্দ্রসংগীত]]
{{বিষয়|বাংলা সাহিত্য}}
{{বর্ণানুক্রমিক|আ}}
{{বিষয়|সাহিত্য}}
{{বইয়ের বিষয়শ্রেণী}}
hykzuobi96ioj6i4jbd26erx9fnttbo
84413
84411
2025-06-16T12:56:34Z
Jonoikobangali
676
/* পর্ব ২: বাংলা উপন্যাস ও ছোটোগল্প */
84413
wikitext
text/x-wiki
{{অবস্থা|৫০%}}<p align=center><font size=7 color="DarkBlue"><b>আধুনিক বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস</b></font></p>
==সূচিপত্র==
=== ভূমিকা ===
# [[/আধুনিক যুগের সূত্রপাত|বাংলা সাহিত্যে আধুনিক যুগের সূত্রপাত]]
## [[/আধুনিক যুগের সূত্রপাত#আধুনিকতার লক্ষণ|আধুনিকতার লক্ষণ]]
### [[/আধুনিক যুগের সূত্রপাত#মানবতাবোধ|মানবতাবোধ]]
### [[/আধুনিক যুগের সূত্রপাত#জাতীয়তাবোধ|জাতীয়তাবোধ]]
### [[/আধুনিক যুগের সূত্রপাত#বৈজ্ঞানিক চেতনা ও যুক্তিবাদ|বৈজ্ঞানিক চেতনা ও যুক্তিবাদ]]
## [[/আধুনিক যুগের সূত্রপাত#আধুনিক সাহিত্যের বিকাশ|আধুনিক সাহিত্যের বিকাশ]]
### [[/আধুনিক যুগের সূত্রপাত#গদ্যসাহিত্য|গদ্যসাহিত্য]]
### [[/আধুনিক যুগের সূত্রপাত#কথাসাহিত্য|কথাসাহিত্য]]
### [[/আধুনিক যুগের সূত্রপাত#কাব্যসাহিত্য|কাব্যসাহিত্য]]
### [[/আধুনিক যুগের সূত্রপাত#নাট্যসাহিত্য|নাট্যসাহিত্য]]
## [[/আধুনিক যুগের সূত্রপাত#মূল্যায়ন|মূল্যায়ন]]
=== পর্ব ১: বাংলা গদ্যসাহিত্য ===
# [[/গদ্যসাহিত্যের সূত্রপাত|বাংলা গদ্যসাহিত্যের সূত্রপাত (উনিশ শতকের পূর্ববর্তী বাংলা গদ্যসাহিত্য)]]
## [[/গদ্যসাহিত্যের সূত্রপাত#কোচবিহারের রাজার চিঠি ও অন্যান্য দলিল|কোচবিহারের রাজার চিঠি ও অন্যান্য দলিল]]
## [[/গদ্যসাহিত্যের সূত্রপাত#বৈষ্ণব নিবন্ধে গদ্য|বৈষ্ণব নিবন্ধে গদ্য]]
## [[/গদ্যসাহিত্যের সূত্রপাত#দোমিঙ্গো দে সোসা|দোমিঙ্গো দে সোসা]]
## [[/গদ্যসাহিত্যের সূত্রপাত#দোম আন্তোনিও দে রোজারিও: ব্রাহ্মণ-রোমান-ক্যাথলিক-সংবাদ|দোম আন্তোনিও দে রোজারিও: ''ব্রাহ্মণ-রোমান-ক্যাথলিক-সংবাদ'']]
## [[/গদ্যসাহিত্যের সূত্রপাত#মানোএল দ্য আস্মুম্পসাঁউ: কৃপার শাস্ত্রের অর্থভেদ|মানোএল দ্য আস্মুম্পসাঁউ: ''কৃপার শাস্ত্রের অর্থভেদ'']]
## [[/গদ্যসাহিত্যের সূত্রপাত#অন্যান্য নিদর্শন|অন্যান্য নিদর্শন]]
## [[/গদ্যসাহিত্যের সূত্রপাত#দেশীয় লেখকদের কৃতিত্ব|দেশীয় লেখকদের কৃতিত্ব]]
# [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ|শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ]]
## [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ#শ্রীরামপুর ব্যাপটিস্ট মিশন|শ্রীরামপুর ব্যাপটিস্ট মিশন]]
### [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ#শ্রীরামপুর ব্যাপটিস্ট মিশন প্রতিষ্ঠা|শ্রীরামপুর ব্যাপটিস্ট মিশন প্রতিষ্ঠা]]
### [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ#বাইবেল অনুবাদ|বাইবেল অনুবাদ]]
### [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ#ছাপাখানা প্রতিষ্ঠা ও সাময়িকপত্র|ছাপাখানা প্রতিষ্ঠা ও সাময়িকপত্র]]
### [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ#মিশনারিদের রচনার বৈশিষ্ট্য|মিশনারিদের রচনার বৈশিষ্ট্য]]
## [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ#ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ|ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ]]
### [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ#ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের প্রতিষ্ঠা|ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের প্রতিষ্ঠা]]
### [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ#পণ্ডিত-মুন্সিদের রচনা|পণ্ডিত-মুন্সিদের রচনা]]
#### [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ#উইলিয়াম কেরি|উইলিয়াম কেরি]]
#### [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ#রামরাম বসু|রামরাম বসু]]
#### [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ#মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার|মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার]]
#### [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ#অন্যান্য লেখকবর্গ|অন্যান্য লেখকবর্গ]]
### [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ#পণ্ডিত-মুন্সিদের গদ্যের রচনার বৈশিষ্ট্য|পণ্ডিত-মুন্সিদের গদ্যের রচনার বৈশিষ্ট্য]]
## [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ#মিশনারি ও কলেজের পণ্ডিত-মুন্সিদের গদ্যচর্চার তুলনা|মিশনারি ও কলেজের পণ্ডিত-মুন্সিদের গদ্যচর্চার তুলনা]]
# [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র|উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র]]
## [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#সংবাদপত্রের সূচনা|সংবাদপত্রের সূচনা]]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#দিগ্দর্শন|দিগ্দর্শন]]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#সমাচার-দর্পণ|সমাচার-দর্পণ]]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#গঙ্গাকিশোর ভট্টাচার্যের বেঙ্গল গেজেট|গঙ্গাকিশোর ভট্টাচার্যের ''বেঙ্গল গেজেট'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#সম্বাদ কৌমুদী|''সম্বাদ কৌমুদী'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#সমাচার-চন্দ্রিকা|''সমাচার-চন্দ্রিকা'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#সংবাদ প্রভাকর|''সংবাদ প্রভাকর'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা|''তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#উনিশ শতকের প্রথমার্ধের অন্যান্য পত্রপত্রিকা|উনিশ শতকের প্রথমার্ধের অন্যান্য পত্রপত্রিকা]]
## [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#উনিশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধের পত্রপত্রিকা|উনিশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধের পত্রপত্রিকা]]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#বিবিধার্থ সংগ্রহ|''বিবিধার্থ সংগ্রহ'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#মাসিক পত্রিকা|''মাসিক পত্রিকা'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#এডুকেশন গেজেট|''এডুকেশন গেজেট'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#সোমপ্রকাশ|''সোমপ্রকাশ'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#রহস্য-সন্দর্ভ|''রহস্য-সন্দর্ভ'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#অবোধবন্ধু|''অবোধবন্ধু'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#বঙ্গদর্শন|''বঙ্গদর্শন'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#প্রচার|''প্রচার'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#নবজীবন|''নবজীবন'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#ভারতী|''ভারতী'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#বালক|''বালক'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#সাধনা|''সাধনা'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#বঙ্গবাসী|''বঙ্গবাসী'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#হিতবাদী|''হিতবাদী'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#জন্মভূমি|''জন্মভূমি'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#বামাবোধিনী|''বামাবোধিনী'']]
## [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#পত্রিকাকেন্দ্রিক লেখকগোষ্ঠী|পত্রিকাকেন্দ্রিক লেখকগোষ্ঠী]]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#তত্ত্ববোধিনী গোষ্ঠী|তত্ত্ববোধিনী গোষ্ঠী]]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#বঙ্গদর্শন গোষ্ঠী|বঙ্গদর্শন গোষ্ঠী]]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#ভারতী ও সাধনা গোষ্ঠী|ভারতী ও সাধনা গোষ্ঠী]]
## [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#অবদান|অবদান]]
# [[/রাজা রামমোহন রায়|রাজা রামমোহন রায়]]
## [[/রাজা রামমোহন রায়#রামমোহন রায়ের রচনাবলি|রামমোহন রায়ের রচনাবলি]]
## [[/রাজা রামমোহন রায়#রামমোহন রায়ের গদ্যরীতি|রামমোহন রায়ের গদ্যরীতি]]
## [[/রাজা রামমোহন রায়#গদ্যশিল্পে রামমোহন রায়ের প্রভাব|গদ্যশিল্পে রামমোহন রায়ের প্রভাব]]
# [[/অক্ষয়কুমার দত্ত|অক্ষয়কুমার দত্ত]]
# [[/ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর|ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর]]
## [[/ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর#অনুবাদ সাহিত্য|অনুবাদ সাহিত্য]]
## [[/ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর#মৌলিক রচনা|মৌলিক রচনা]]
## [[/ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর#বিদ্যাসাগরের গদ্যরীতির বৈশিষ্ট্য|বিদ্যাসাগরের গদ্যরীতির বৈশিষ্ট্য]]
## [[/ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর#‘বাংলা গদ্যের জনক’|‘বাংলা গদ্যের জনক’]]
# [[/দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর|দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর]]
# [[/ভূদেব মুখোপাধ্যায়|ভূদেব মুখোপাধ্যায়]]
# [[/রাজনারায়ণ বসু|রাজনারায়ণ বসু]]
# [[/বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রবন্ধসাহিত্য|বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রবন্ধসাহিত্য]]
## [[/বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রবন্ধসাহিত্য#বঙ্কিমচন্দ্রের প্রবন্ধসাহিত্যে বৈচিত্র্য|বৈচিত্র্য]]
## [[/বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রবন্ধসাহিত্য#জ্ঞানচর্চামূলক প্রবন্ধ|জ্ঞানচর্চামূলক প্রবন্ধ]]
## [[/বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রবন্ধসাহিত্য#বিচারমূলক প্রবন্ধ|বিচারমূলক প্রবন্ধ]]
## [[/বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রবন্ধসাহিত্য#রসব্যঞ্জনামূলক প্রবন্ধ|রসব্যঞ্জনামূলক প্রবন্ধ]]
## [[/বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রবন্ধসাহিত্য#প্রবন্ধসাহিত্যে বঙ্কিমচন্দ্রের অবদান|অবদান]]
# [[/বঙ্কিম-সমকালীন প্রাবন্ধিক গোষ্ঠী|বঙ্কিম-সমকালীন প্রাবন্ধিক গোষ্ঠী]]
# [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক বাংলা প্রবন্ধসাহিত্য|রবীন্দ্র-সমসাময়িক প্রবন্ধসাহিত্য]]
## [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক বাংলা প্রবন্ধসাহিত্য#বলেন্দ্রনাথ ঠাকুর|বলেন্দ্রনাথ ঠাকুর]]
## [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক বাংলা প্রবন্ধসাহিত্য#অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর|অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর]]
## [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক বাংলা প্রবন্ধসাহিত্য#রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদী|রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদী]]
## [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক বাংলা প্রবন্ধসাহিত্য#প্রমথ চৌধুরী|প্রমথ চৌধুরী]]
## [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক বাংলা প্রবন্ধসাহিত্য#পাঁচকড়ি বন্দ্যোপাধ্যায়|পাঁচকড়ি বন্দ্যোপাধ্যায়]]
## [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক বাংলা প্রবন্ধসাহিত্য#মোহিতলাল মজুমদার|মোহিতলাল মজুমদার]]
## [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক বাংলা প্রবন্ধসাহিত্য#রবীন্দ্র-পরবর্তীকালের বাংলা প্রবন্ধসাহিত্য|রবীন্দ্র-পরবর্তীকালের বাংলা প্রবন্ধসাহিত্য]]
===পরিশিষ্ট: বাংলা গদ্যসাহিত্য===
# [[/রামমোহন, বিদ্যাসাগর ও অক্ষয়কুমারের অবদান|রামমোহন, বিদ্যাসাগর ও অক্ষয়কুমারের অবদান]]
# [[/বাংলা গদ্যে আলালী ও বিদ্যাসাগরী রীতির বিবর্তন|বাংলা গদ্যে আলালী ও বিদ্যাসাগরী রীতির বিবর্তন]]
# [[/বাংলা গদ্যে চলিত রীতির বিবর্তন|বাংলা গদ্যে চলিত রীতি বিবর্তন]]
# [[/ভূদেব মুখোপাধ্যায় ও বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়|ভূদেব মুখোপাধ্যায় ও বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়]]
=== পর্ব ২: বাংলা উপন্যাস ও ছোটোগল্প ===
# [[/উপন্যাসের সূত্রপাত|বাংলা সাহিত্যে উপন্যাসের সূত্রপাত]]
## [[/উপন্যাসের সূত্রপাত#উপন্যাসের সূত্রপাত|উপন্যাসের সূত্রপাত]]
## [[/উপন্যাসের সূত্রপাত#উপন্যাস রচনার প্রথম প্রচেষ্টা|উপন্যাস রচনার প্রথম প্রচেষ্টা]]
## [[/উপন্যাসের সূত্রপাত#হানা ক্যাথারিন মুলেন্সের ফুলমণি ও করুণার বৃত্তান্ত|হানা ক্যাথারিন মুলেন্সের ''ফুলমণি ও করুণার বৃত্তান্ত'']]
## [[/উপন্যাসের সূত্রপাত#প্যারীচাঁদ মিত্রের আলালের ঘরের দুলাল|প্যারীচাঁদ মিত্রের ''আলালের ঘরের দুলাল'']]
## [[/উপন্যাসের সূত্রপাত#কালীপ্রসন্ন সিংহের হুতোম প্যাঁচার নক্সা|কালীপ্রসন্ন সিংহের ''হুতোম প্যাঁচার নক্সা'']]
## [[/উপন্যাসের সূত্রপাত#রোম্যান্স রচনার সূত্রপাত|রোম্যান্স রচনার সূত্রপাত: ভূদেব মুখোপাধ্যায়, কৃষ্ণকমল ভট্টাচার্য ও গোপীমোহন ঘোষ]]
## [[/উপন্যাসের সূত্রপাত#সূচনা পর্বের উপন্যাসের সাহিত্যমূল্য|সূচনা পর্বের উপন্যাসের সাহিত্যমূল্য]]
# [[/বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের উপন্যাস|বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের উপন্যাস]]
# [[/বঙ্কিম-সমকালীন ঔপন্যাসিক গোষ্ঠী|বঙ্কিম-সমকালীন ঔপন্যাসিক গোষ্ঠী]]
## [[/বঙ্কিম-সমকালীন ঔপন্যাসিক গোষ্ঠী#রমেশচন্দ্র দত্ত|রমেশচন্দ্র দত্ত]]
## [[/বঙ্কিম-সমকালীন ঔপন্যাসিক গোষ্ঠী#সঞ্জীবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়|সঞ্জীবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়]]
## [[/বঙ্কিম-সমকালীন ঔপন্যাসিক গোষ্ঠী#তারকনাথ গঙ্গোপাধ্যায়|তারকনাথ গঙ্গোপাধ্যায়]]
## [[/বঙ্কিম-সমকালীন ঔপন্যাসিক গোষ্ঠী#প্রতাপচন্দ্র ঘোষ|প্রতাপচন্দ্র ঘোষ]]
## [[/বঙ্কিম-সমকালীন ঔপন্যাসিক গোষ্ঠী#স্বর্ণকুমারী দেবী|স্বর্ণকুমারী দেবী]]
# [[/বিশ শতকের বাংলা উপন্যাস|বিশ শতকের বাংলা উপন্যাস]]
# [[/প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়ের উপন্যাস|প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়ের উপন্যাস]]
# [[/শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের উপন্যাস|শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের উপন্যাস]]
# [[/শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ছোটোগল্প|শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ছোটোগল্প]]
# [[/বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়|বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়]]
# [[/তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়|তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়]]
# [[/মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়|মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়]]
# [[/বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায়|বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায়]]
# [[/দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী যুগের ছোটোগল্প ও উপন্যাস|দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী যুগের ছোটোগল্প ও উপন্যাস]]
## [[/দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী যুগের ছোটোগল্প ও উপন্যাস#হৃদয়বৃত্তিমূলক কথাসাহিত্য|হৃদয়বৃত্তিমূলক কথাসাহিত্য]]
## [[/দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী যুগের ছোটোগল্প ও উপন্যাস#চিন্তামূলক মননশীল কথাসাহিত্য|চিন্তামূলক মননশীল কথাসাহিত্য]]
## [[/দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী যুগের ছোটোগল্প ও উপন্যাস#বিকৃত-চিন্তামূলক বিদ্রোহাত্মক কথাসাহিত্য|বিকৃত-চিন্তামূলক বিদ্রোহাত্মক কথাসাহিত্য]]
## [[/দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী যুগের ছোটোগল্প ও উপন্যাস#বাস্তববুদ্ধিমূলক মানবিক কথাসাহিত্য|বাস্তববুদ্ধিমূলক মানবিক কথাসাহিত্য]]
## [[/দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী যুগের ছোটোগল্প ও উপন্যাস#কৌতুকরসাত্মক কথাসাহিত্য|কৌতুকরসাত্মক কথাসাহিত্য]]
=== পর্ব ৩: বাংলা নাটক ===
# [[/উদ্ভব|বাংলা নাটকের উদ্ভব]]
# [[/নাট্যশালার ইতিহাস|বাংলা নাট্যশালার ইতিহাস]]
# [[/সাধারণ রঙ্গালয় প্রতিষ্ঠার পূর্ববর্তী নাটক|সাধারণ রঙ্গালয় প্রতিষ্ঠার পূর্ববর্তী নাটক]]
# [[/রামনারায়ণ তর্করত্ন|রামনারায়ণ তর্করত্ন]]
## [[/রামনারায়ণ তর্করত্ন#কুলীনকুলসর্বস্ব|''কুলীনকুলসর্বস্ব'']]
## [[/রামনারায়ণ তর্করত্ন#অন্যান্য নাটক|অন্যান্য নাটক]]
## [[/রামনারায়ণ তর্করত্ন#মূল্যায়ন|মূল্যায়ন]]
# [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের নাট্যসাহিত্য|মাইকেল মধুসূদন দত্ত]]
## [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের নাট্যসাহিত্য#প্রাক্-মধুসূদন যুগের বাংলা নাটক ও মধুসূদন|প্রাক্-মধুসূদন যুগের বাংলা নাটক ও মধুসূদন]]
## [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের নাট্যসাহিত্য#পৌরাণিক নাটক|পৌরাণিক নাটক]]
### [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের নাট্যসাহিত্য#''শর্মিষ্ঠা''|''শর্মিষ্ঠা'']]
### [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের নাট্যসাহিত্য#''পদ্মাবতী''|''পদ্মাবতী'']]
## [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের নাট্যসাহিত্য#ঐতিহাসিক নাটক: ট্র্যাজেডি|ঐতিহাসিক নাটক: ট্র্যাজেডি]]
### [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের নাট্যসাহিত্য#''কৃষ্ণকুমারী''|''কৃষ্ণকুমারী'']]
## [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের নাট্যসাহিত্য#প্রহসন|প্রহসন: ''একেই কি বলে সভ্যতা'' ও ''বুড়ো শালিকের ঘাড়ে রোঁ'']]
## [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের নাট্যসাহিত্য#প্রহসন|অন্যান্য নাটক: ''মায়াকানন'' ও ''বিষ না ধনুর্গুণ'']]
## [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের নাট্যসাহিত্য#বাংলা নাটকের ইতিহাসে মাইকেল মধুসূদন দত্তের স্থান|বাংলা নাটকের ইতিহাসে মাইকেল মধুসূদন দত্তের স্থান]]
# [[/দীনবন্ধু মিত্র|দীনবন্ধু মিত্র]]
## [[/দীনবন্ধু মিত্র#সামাজিক নাটক|সামাজিক নাটক]]
### [[/দীনবন্ধু মিত্র#নীলদর্পণ|''নীলদর্পণ'']]
#### [[/দীনবন্ধু মিত্র#নীল বিদ্রোহ ও নীলদর্পণ নাটক|নীল বিদ্রোহ ও ''নীলদর্পণ'' নাটক]]
#### [[/দীনবন্ধু মিত্র#নীলদর্পণ নাটকের সংক্ষিপ্ত কাহিনি|''নীলদর্পণ'' নাটকের সংক্ষিপ্ত কাহিনি]]
#### [[/দীনবন্ধু মিত্র#সমালোচনা|সমালোচনা]]
## [[/দীনবন্ধু মিত্র#অন্যান্য নাটক|অন্যান্য নাটক]]
### [[/দীনবন্ধু মিত্র#প্রহসন|প্রহসন]]
#### [[/দীনবন্ধু মিত্র#সধবার একাদশী ও নিমচাঁদ চরিত্র|''সধবার একাদশী'' ও নিমচাঁদ চরিত্র]]
## [[/দীনবন্ধু মিত্র#বাংলা নাট্যসাহিত্যে দীনবন্ধু মিত্রের অবদান|বাংলা নাট্যসাহিত্যে দীনবন্ধু মিত্রের অবদান]]
# [[/মনোমোহন বসু|মনোমোহন বসু]]
# [[/জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর|জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর]]
## [[/জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর#জ্যোতিরিন্দ্রনাথের ঐতিহাসিক নাটক|ঐতিহাসিক নাটক]]
## [[/জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর#জ্যোতিরিন্দ্রনাথের প্রহসন|প্রহসন]]
## [[/জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর#জ্যোতিরিন্দ্রনাথের অনুবাদ নাটক|অনুবাদ নাটক]]
# [[/উপেন্দ্রনাথ দাস|উপেন্দ্রনাথ দাস]]
# [[/রাজকৃষ্ণ রায়|রাজকৃষ্ণ রায়]]
# [[/গিরিশচন্দ্র ঘোষ|গিরিশচন্দ্র ঘোষ]]
# [[/অমৃতলাল বসু|অমৃতলাল বসু]]
# [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়|দ্বিজেন্দ্রলাল রায়]]
## [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#প্রহসন|প্রহসন]]
### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#কল্কি অবতার|''কল্কি অবতার'']]
### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#বিরহ|''বিরহ'']]
### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#ত্র্যহস্পর্শ|''ত্র্যহস্পর্শ'']]
### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#প্রায়শ্চিত্ত|''প্রায়শ্চিত্ত'']]
### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#পুনর্জন্ম|''পুনর্জন্ম'']]
### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#আনন্দবিদায়|''আনন্দবিদায়'']]
## [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#পৌরাণিক নাটক|পৌরাণিক নাটক]]
### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#পাষাণী|''পাষাণী'']]
### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#সীতা|''সীতা'']]
### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#ভীষ্ম|''ভীষ্ম'']]
## [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#সামাজিক নাটক|সামাজিক নাটক]]
### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#পরপারে|''পরপারে'']]
### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#বঙ্গনারী|''বঙ্গনারী'']]
## [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#অপেরা|অপেরা]]
### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#সোরাব-রুস্তম|''সোরাব-রুস্তম'']]
## [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#ঐতিহাসিক নাটক|ঐতিহাসিক নাটক]]
### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#রাজপুত ইতিহাস-নির্ভর ঐতিহাসিক নাটক|রাজপুত ইতিহাস-নির্ভর ঐতিহাসিক নাটক]]
#### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#তারাবাঈ|''তারাবাঈ'']]
#### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#রাণা প্রতাপ সিংহ|''রাণা প্রতাপ সিংহ'']]
#### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#দুর্গাদাস|''দুর্গাদাস'']]
#### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#মেবার পতন|''মেবার পতন'']]
### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#অন্যান্য ঐতিহাসিক নাটক|অন্যান্য ঐতিহাসিক নাটক]]
#### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#নূরজাহান|''নূরজাহান'']]
#### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#সাজাহান|''সাজাহান'']]
#### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#চন্দ্রগুপ্ত|''চন্দ্রগুপ্ত'']]
#### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#সিংহল বিজয়|''সিংহল বিজয়'']]
## [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#দ্বিজেন্দ্রলালের নাটকে সংলাপের ভাষা|দ্বিজেন্দ্রলালের নাটকে সংলাপের ভাষা]]
## [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#মূল্যায়ন|মূল্যায়ন]]
# [[/ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ|ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ]]
## [[/ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ#অপেরা বা গীতিমুখর নাটক|অপেরা বা গীতিমুখর নাটক]]
## [[/ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ#পৌরাণিক নাটক|পৌরাণিক নাটক]]
## [[/ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ#কাল্পনিক নাটক|কাল্পনিক নাটক]]
## [[/ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ#অপেরা বা গীতিমুখর নাটক|অপেরা বা গীতিমুখর নাটক]]
## [[/ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ#ঐতিহাসিক নাটক|ঐতিহাসিক নাটক]]
## [[/ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ#মূল্যায়ন|মূল্যায়ন]]
# [[/বিশ শতকের বাংলা নাটক|বিশ শতকের বাংলা নাটক]]
## [[/বিশ শতকের বাংলা নাটক#অপরেশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়|অপরেশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়]]
## [[/বিশ শতকের বাংলা নাটক#গতানুগতিক ধারার নাট্যকারগণ|গতানুগতিক ধারার নাট্যকারগণ]]
## [[/বিশ শতকের বাংলা নাটক#যোগেশচন্দ্র চৌধুরী|যোগেশচন্দ্র চৌধুরী]]
## [[/বিশ শতকের বাংলা নাটক#মন্মথ রায়|মন্মথ রায়]]
## [[/বিশ শতকের বাংলা নাটক#শচীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত|শচীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত]]
## [[/বিশ শতকের বাংলা নাটক#বিধায়ক ভট্টাচার্য|বিধায়ক ভট্টাচার্য]]
## [[/বিশ শতকের বাংলা নাটক#প্রমথনাথ বিশী|প্রমথনাথ বিশী]]
## [[/বিশ শতকের বাংলা নাটক#জীবনী নাটক|জীবনী নাটক]]
## [[/বিশ শতকের বাংলা নাটক#নবনাট্য আন্দোলন|নবনাট্য আন্দোলন]]
## [[/বিশ শতকের বাংলা নাটক#বিদেশি নাটকের বঙ্গীকরণ|বিদেশি নাটকের বঙ্গীকরণ]]
# [[/পৌরাণিক নাটক|বাংলা পৌরাণিক নাটকের বিকাশ]]
## [[/পৌরাণিক নাটক#প্রথম পর্বের বাংলা পৌরাণিক নাটক|প্রথম পর্ব: হরচন্দ্র ঘোষ, কালীপ্রসন্ন সিংহ, মাইকেল মধুসূদন দত্ত ও রামনারায়ণ তর্করত্ন]]
## [[/পৌরাণিক নাটক#দ্বিতীয় পর্বের বাংলা পৌরাণিক নাটক|দ্বিতীয় পর্ব: মনোমোহন বসু, রাজকৃষ্ণ রায়, অতুলকৃষ্ণ মিত্র ও গিরিশচন্দ্র ঘোষ]]
## [[/পৌরাণিক নাটক#তৃতীয় পর্বের বাংলা পৌরাণিক নাটক|তৃতীয় পর্ব: দ্বিজেন্দ্রলাল রায়, ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ, অপরেশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়, ভূপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, যোগেশচন্দ্র চৌধুরী, মন্মথ রায় ও মহেন্দ্র গুপ্ত]]
## [[/পৌরাণিক নাটক#বাংলা পৌরাণিক নাটকের পরিণতি|পরিণতি]]
# [[/ঐতিহাসিক নাটক|বাংলা ঐতিহাসিক নাটকের বিকাশ]]
# [[/সামাজিক ও পারিবারিক নাটক|বাংলা সামাজিক ও পারিবারিক নাটকের বিকাশ]]
## [[/সামাজিক ও পারিবারিক নাটক#প্রথম পর্বের সামাজিক নাটক|প্রথম পর্বের সামাজিক নাটক: রামনারায়ণ তর্করত্ন, উমেশচন্দ্র মিত্র, দীনবন্ধু মিত্র ও অন্যান্য]]
## [[/সামাজিক ও পারিবারিক নাটক#দ্বিতীয় পর্বের সামাজিক ও পারিবারিক নাটক|দ্বিতীয় পর্বের সামাজিক ও পারিবারিক নাটক: উপেন্দ্রনাথ দাস, গিরিশচন্দ্র ঘোষ, দ্বিজেন্দ্রলাল রায় ও অন্যান্য]]
## [[/সামাজিক ও পারিবারিক নাটক#তৃতীয় পর্বের পারিবারিক নাটক|তৃতীয় পর্বের পারিবারিক নাটক: শচীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত, জলধর চট্টোপাধ্যায়, মহেন্দ্র গুপ্ত ও বিধায়ক ভট্টাচার্য]]
## [[/সামাজিক ও পারিবারিক নাটক#চতুর্থ পর্বের আধুনিক সমাজ-সচেতন নাটক|চতুর্থ পর্বের আধুনিক সমাজ-সচেতন নাটক: বিজন ভট্টাচার্য, তুলসী লাহিড়ী, সলিল সেন ও অন্যান্য]]
# [[/প্রহসন|বাংলা প্রহসনের বিকাশ]]
## [[/প্রহসন#প্রথম পর্বের প্রহসন: রামনারায়ণ তর্করত্ন, কালীপ্রসন্ন সিংহ, মাইকেল মধুসূদন দত্ত, দীনবন্ধু মিত্র ও জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর|প্রথম পর্বের প্রহসন: রামনারায়ণ তর্করত্ন, কালীপ্রসন্ন সিংহ, মাইকেল মধুসূদন দত্ত, দীনবন্ধু মিত্র ও জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর]]
## [[/প্রহসন#দ্বিতীয় পর্বের প্রহসন: গিরিশচন্দ্র ঘোষ, অমৃতলাল বসু, দ্বিজেন্দ্রলাল রায়, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর|দ্বিতীয় পর্বের প্রহসন: গিরিশচন্দ্র ঘোষ, অমৃতলাল বসু, দ্বিজেন্দ্রলাল রায়, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর]]
## [[/প্রহসন#তৃতীয় পর্বের প্রহসন: রবীন্দ্রনাথ মৈত্র, প্রমথনাথ বিশী, বিধায়ক ভট্টাচার্য প্রমুখ|তৃতীয় পর্বের প্রহসন: রবীন্দ্রনাথ মৈত্র, প্রমথনাথ বিশী, বিধায়ক ভট্টাচার্য প্রমুখ]]
=== পর্ব ৪: আধুনিক বাংলা কাব্যসাহিত্য ===
# [[/কবিওয়ালা|কবিওয়ালা]]
# [[/ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত|ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত]]
# [[/মদনমোহন তর্কালঙ্কার|মদনমোহন তর্কালঙ্কার]]
# [[/উনিশ শতকের মহাকাব্য ও আখ্যানকাব্য|উনিশ শতকের বাংলা মহাকাব্য ও আখ্যানকাব্য]]
## [[/উনিশ শতকের মহাকাব্য ও আখ্যানকাব্য#আখ্যানকাব্যের বৈশিষ্ট্য|আখ্যানকাব্যের বৈশিষ্ট্য]]
## [[/উনিশ শতকের মহাকাব্য ও আখ্যানকাব্য#মহাকাব্যের বৈশিষ্ট্য|মহাকাব্যের বৈশিষ্ট্য]]
### [[/উনিশ শতকের মহাকাব্য ও আখ্যানকাব্য#মাইকেল মধুসূদন দত্তের মহাকাব্য|মাইকেল মধুসূদন দত্তের মহাকাব্য]]
### [[/উনিশ শতকের মহাকাব্য ও আখ্যানকাব্য#হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের মহাকাব্য ও আখ্যানকাব্য|হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের মহাকাব্য ও আখ্যানকাব্য]]
### [[/উনিশ শতকের মহাকাব্য ও আখ্যানকাব্য#নবীনচন্দ্র সেনের মহাকাব্য ও আখ্যানকাব্য|নবীনচন্দ্র সেনের মহাকাব্য ও আখ্যানকাব্য]]
## [[/উনিশ শতকের মহাকাব্য ও আখ্যানকাব্য#বাংলা মহাকাব্যের পরিণতি|বাংলা মহাকাব্যের পরিণতি]]
## [[/উনিশ শতকের মহাকাব্য ও আখ্যানকাব্য#বাংলা আখ্যানকাব্যের পরিণতি|বাংলা আখ্যানকাব্যের পরিণতি]]
# [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের কাব্যসাহিত্য|মাইকেল মধুসূদন দত্ত]]
## [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের কাব্যসাহিত্য#কাব্যসাহিত্য|কাব্যসাহিত্য]]
### [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের কাব্যসাহিত্য#তিলোত্তমাসম্ভব কাব্য|''তিলোত্তমাসম্ভব কাব্য'']]
### [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের কাব্যসাহিত্য#মেঘনাদবধ কাব্য|''মেঘনাদবধ কাব্য'']]
### [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের কাব্যসাহিত্য#ব্রজাঙ্গনা কাব্য|''ব্রজাঙ্গনা কাব্য'']]
### [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের কাব্যসাহিত্য#বীরাঙ্গনা কাব্য|''বীরাঙ্গনা কাব্য'']]
### [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের কাব্যসাহিত্য#চতুর্দশপদী কবিতাবলী|''চতুর্দশপদী কবিতাবলী'']]
## [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের কাব্যসাহিত্য#মূল্যায়ন|মূল্যায়ন]]
# [[/হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়|হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়]]
# [[/নবীনচন্দ্র সেন|নবীনচন্দ্র সেন]]
# [[/বিহারীলাল চক্রবর্তী|বিহারীলাল চক্রবর্তী]]
## [[/বিহারীলাল চক্রবর্তী#রচনাবলি|রচনাবলি]]
## [[/বিহারীলাল চক্রবর্তী#কবিপ্রতিভার বৈশিষ্ট্য|কবিপ্রতিভার বৈশিষ্ট্য]]
## [[/বিহারীলাল চক্রবর্তী#শৈল্পিক ত্রুটি|শৈল্পিক ত্রুটি]]
## [[/বিহারীলাল চক্রবর্তী#বিশুদ্ধ গীতিকবিতার জনক বিহারীলাল|বিশুদ্ধ গীতিকবিতার জনক বিহারীলাল]]
# [[/আখ্যানকাব্য ও গীতিকাব্যের ধারা ও পরিণাম|বাংলা আখ্যানকাব্য ও গীতিকাব্যের ধারা ও পরিণাম]]
# [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক কবিগণ|রবীন্দ্র-সমসাময়িক কবিগণ]]
## [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক কবিগণ#রবীন্দ্র-পরিমণ্ডলের অন্তর্ভুক্ত কবিগণ|রবীন্দ্র-পরিমণ্ডলের অন্তর্ভুক্ত কবিগণ]]
## [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক কবিগণ#রবীন্দ্র-প্রভাবিক কবিগোষ্ঠী|রবীন্দ্র-প্রভাবিক কবিগোষ্ঠী]]
### [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক কবিগণ#দ্বিজেন্দ্রলাল রায়|দ্বিজেন্দ্রলাল রায়]]
### [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক কবিগণ#সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত|সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত]]
### [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক কবিগণ#করুণানিধন বন্দ্যোপাধ্যায়|করুণানিধন বন্দ্যোপাধ্যায়]]
### [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক কবিগণ#যতীন্দ্রমোহন বাগচি|যতীন্দ্রমোহন বাগচি]]
### [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক কবিগণ#কুমুদরঞ্জন মল্লিক, কালিদাস রায় ও কিরণধন চট্টোপাধ্যায়|কুমুদরঞ্জন মল্লিক, কালিদাস রায় ও কিরণধন চট্টোপাধ্যায়]]
## [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক কবিগণ#রবীন্দ্রবিরোধী কবিগোষ্ঠী|রবীন্দ্রবিরোধী কবিগোষ্ঠী]]
### [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক কবিগণ#মোহিতলাল মজুমদার|মোহিতলাল মজুমদার]]
### [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক কবিগণ#যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত|যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত]]
### [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক কবিগণ#কাজী নজরুল ইসলাম|কাজী নজরুল ইসলাম]]
# [[/উনিশ শতকের মহিলা কবিগণ|উনিশ শতকের মহিলা কবিগণ]]
## [[/উনিশ শতকের মহিলা কবিগণ#মোক্ষদায়িনী মুখোপাধ্যায়|মোক্ষদায়িনী মুখোপাধ্যায়]]
## [[/উনিশ শতকের মহিলা কবিগণ#স্বর্ণকুমারী দেবী|স্বর্ণকুমারী দেবী]]
## [[/উনিশ শতকের মহিলা কবিগণ#গিরীন্দ্রমোহিনী দাসী|গিরীন্দ্রমোহিনী দাসী]]
## [[/উনিশ শতকের মহিলা কবিগণ#মানকুমারী বসু|মানকুমারী বসু]]
## [[/উনিশ শতকের মহিলা কবিগণ#কামিনী রায়|কামিনী রায়]]
## [[/উনিশ শতকের মহিলা কবিগণ#সরোজকুমারী দেবী|সরোজকুমারী দেবী]]
## [[/উনিশ শতকের মহিলা কবিগণ#অন্যান্য মহিলা কবিগণ|অন্যান্য মহিলা কবিগণ]]
# [[/রবীন্দ্র-পরবর্তী বাংলা কবিতা|রবীন্দ্র-পরবর্তী বাংলা কবিতা]]
## [[/রবীন্দ্র-পরবর্তী বাংলা কবিতা#বুদ্ধদেব বসু|বুদ্ধদেব বসু]]
## [[/রবীন্দ্র-পরবর্তী বাংলা কবিতা#জীবনানন্দ দাশ|জীবনানন্দ দাশ]]
## [[/রবীন্দ্র-পরবর্তী বাংলা কবিতা#অজিত দত্ত|অজিত দত্ত]]
## [[/রবীন্দ্র-পরবর্তী বাংলা কবিতা#সুধীন্দ্রনাথ দত্ত|সুধীন্দ্রনাথ দত্ত]]
## [[/রবীন্দ্র-পরবর্তী বাংলা কবিতা#বিষ্ণু দে|বিষ্ণু দে]]
## [[/রবীন্দ্র-পরবর্তী বাংলা কবিতা#প্রেমেন্দ্র মিত্র|প্রেমেন্দ্র মিত্র]]
## [[/রবীন্দ্র-পরবর্তী বাংলা কবিতা#অমিয় চক্রবর্তী|অমিয় চক্রবর্তী]]
## [[/রবীন্দ্র-পরবর্তী বাংলা কবিতা#সমর সেন|সমর সেন]]
## [[/রবীন্দ্র-পরবর্তী বাংলা কবিতা#সুকান্ত ভট্টাচার্য|সুকান্ত ভট্টাচার্য]]
## [[/রবীন্দ্র-পরবর্তী বাংলা কবিতা#অন্যান্য কবিগণ|অন্যান্য কবিগণ]]
=== পর্ব ৫: রবীন্দ্রসাহিত্য ===
# [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতা|কবিতা]]
# [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক|নাটক]]
## [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#রবীন্দ্রনাথের গীতিনাট্য: বাল্মীকিপ্রতিভা, কালমৃগয়া ও মায়ার খেলা|রবীন্দ্রনাথের গীতিনাট্য: ''বাল্মীকিপ্রতিভা'', ''কালমৃগয়া'' ও ''মায়ার খেলা'']]
## [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#রবীন্দ্রনাথের কাব্যনাট্য|কাব্যনাট্য]]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#প্রকৃতির প্রতিশোধ|''প্রকৃতির প্রতিশোধ'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#চিত্রাঙ্গদা|''চিত্রাঙ্গদা'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#বিদায় অভিশাপ|''বিদায় অভিশাপ'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#কাহিনী গ্রন্থের কাব্যনাট্যসমূহ|''কাহিনী'' গ্রন্থের কাব্যনাট্যসমূহ: "গান্ধারীর আবেদন", "সতী", "নরকবাস", "লক্ষ্মীর পরীক্ষা" ও "কর্ণকুন্তীসংবাদ"]]
## [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#রবীন্দ্রনাথের প্রথানুগ নাটক|প্রথানুগ নাটক]]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#রাজা ও রানী ও তপতী|''রাজা ও রানী'' ও ''তপতী'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#বিসর্জন|''বিসর্জন'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#মালিনী|''মালিনী'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#প্রায়শ্চিত্ত ও পরিত্রাণ|''প্রায়শ্চিত্ত'' ও ''পরিত্রাণ'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#রবীন্দ্রনাথের পারিবারিক নাটক: গৃহপ্রবেশ ও শোধবোধ|রবীন্দ্রনাথের পারিবারিক নাটক: ''গৃহপ্রবেশ'' ও ''শোধবোধ'']]
## [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#রবীন্দ্রনাথের প্রহসন বা কৌতুকনাট্য|প্রহসন বা কৌতুকনাট্য]]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#গোড়ায় গলদ ও শেষরক্ষা|''গোড়ায় গলদ'' ও ''শেষরক্ষা'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#বৈকুণ্ঠের খাতা|''বৈকুণ্ঠের খাতা'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#হাস্যকৌতুক ও ব্যঙ্গকৌতুক|''হাস্যকৌতুক'' ও ''ব্যঙ্গকৌতুক'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#চিরকুমার সভা|''চিরকুমার সভা'']]
## [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#রবীন্দ্রনাথের রূপক-সাংকেতিক নাটক|রূপক-সাংকেতিক নাটক]]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#শারদোৎসব ও ঋণশোধ|''শারদোৎসব'' ও ''ঋণশোধ'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#রাজা ও অরূপরতন|''রাজা'' ও ''অরূপরতন'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#অচলায়তন ও গুরু|''অচলায়তন'' ও ''গুরু'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#ডাকঘর|''ডাকঘর'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#ফাল্গুনী|''ফাল্গুনী'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#মুক্তধারা|''মুক্তধারা'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#রক্তকরবী|''রক্তকরবী'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#রথের রশি ও তাসের দেশ|''রথের রশি'' ও ''তাসের দেশ'']]
# [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উপন্যাস|উপন্যাস]]
# [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছোটোগল্প|ছোটোগল্প]]
# [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রবন্ধসাহিত্য|প্রবন্ধসাহিত্য]]
## [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রবন্ধসাহিত্য#প্রবন্ধসাহিত্যের শ্রেণিবিভাগ|প্রবন্ধসাহিত্যের শ্রেণিবিভাগ]]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রবন্ধসাহিত্য#প্রবন্ধসাহিত্যের শ্রেণিবিভাগ|প্রবন্ধসাহিত্যের শ্রেণিবিভাগ]]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রবন্ধসাহিত্য#সমালোচনা, সাহিত্যতত্ত্ব ও সাহিত্য আলোচনা-বিষয়ক প্রবন্ধ|সমালোচনা, সাহিত্যতত্ত্ব ও সাহিত্য আলোচনা-বিষয়ক প্রবন্ধ]]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রবন্ধসাহিত্য#শিক্ষা, সমাজ ও রাজনীতি-বিষয়ক প্রবন্ধ|শিক্ষা, সমাজ ও রাজনীতি-বিষয়ক প্রবন্ধ]]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রবন্ধসাহিত্য#ধর্ম, দর্শন ও অধ্যাত্ম-বিষয়ক প্রবন্ধ|ধর্ম, দর্শন ও অধ্যাত্ম-বিষয়ক প্রবন্ধ]]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রবন্ধসাহিত্য#ভ্রমণসাহিত্য|ভ্রমণসাহিত্য]]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রবন্ধসাহিত্য#পত্রসাহিত্য|পত্রসাহিত্য]]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রবন্ধসাহিত্য#আত্মকথা ও জীবনী|আত্মকথা ও জীবনী]]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রবন্ধসাহিত্য#আবেগধর্মী প্রবন্ধ|আবেগধর্মী প্রবন্ধ]]
## [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রবন্ধসাহিত্য#মূল্যায়ন|মূল্যায়ন]]
# [[/রবীন্দ্রসংগীত|রবীন্দ্রসংগীত]]
{{বিষয়|বাংলা সাহিত্য}}
{{বর্ণানুক্রমিক|আ}}
{{বিষয়|সাহিত্য}}
{{বইয়ের বিষয়শ্রেণী}}
fy23g1fvzu3x4vujnsvpbsmpwmj4kfz
84417
84413
2025-06-16T13:03:20Z
Jonoikobangali
676
/* পর্ব ২: বাংলা উপন্যাস ও ছোটোগল্প */
84417
wikitext
text/x-wiki
{{অবস্থা|৫০%}}<p align=center><font size=7 color="DarkBlue"><b>আধুনিক বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস</b></font></p>
==সূচিপত্র==
=== ভূমিকা ===
# [[/আধুনিক যুগের সূত্রপাত|বাংলা সাহিত্যে আধুনিক যুগের সূত্রপাত]]
## [[/আধুনিক যুগের সূত্রপাত#আধুনিকতার লক্ষণ|আধুনিকতার লক্ষণ]]
### [[/আধুনিক যুগের সূত্রপাত#মানবতাবোধ|মানবতাবোধ]]
### [[/আধুনিক যুগের সূত্রপাত#জাতীয়তাবোধ|জাতীয়তাবোধ]]
### [[/আধুনিক যুগের সূত্রপাত#বৈজ্ঞানিক চেতনা ও যুক্তিবাদ|বৈজ্ঞানিক চেতনা ও যুক্তিবাদ]]
## [[/আধুনিক যুগের সূত্রপাত#আধুনিক সাহিত্যের বিকাশ|আধুনিক সাহিত্যের বিকাশ]]
### [[/আধুনিক যুগের সূত্রপাত#গদ্যসাহিত্য|গদ্যসাহিত্য]]
### [[/আধুনিক যুগের সূত্রপাত#কথাসাহিত্য|কথাসাহিত্য]]
### [[/আধুনিক যুগের সূত্রপাত#কাব্যসাহিত্য|কাব্যসাহিত্য]]
### [[/আধুনিক যুগের সূত্রপাত#নাট্যসাহিত্য|নাট্যসাহিত্য]]
## [[/আধুনিক যুগের সূত্রপাত#মূল্যায়ন|মূল্যায়ন]]
=== পর্ব ১: বাংলা গদ্যসাহিত্য ===
# [[/গদ্যসাহিত্যের সূত্রপাত|বাংলা গদ্যসাহিত্যের সূত্রপাত (উনিশ শতকের পূর্ববর্তী বাংলা গদ্যসাহিত্য)]]
## [[/গদ্যসাহিত্যের সূত্রপাত#কোচবিহারের রাজার চিঠি ও অন্যান্য দলিল|কোচবিহারের রাজার চিঠি ও অন্যান্য দলিল]]
## [[/গদ্যসাহিত্যের সূত্রপাত#বৈষ্ণব নিবন্ধে গদ্য|বৈষ্ণব নিবন্ধে গদ্য]]
## [[/গদ্যসাহিত্যের সূত্রপাত#দোমিঙ্গো দে সোসা|দোমিঙ্গো দে সোসা]]
## [[/গদ্যসাহিত্যের সূত্রপাত#দোম আন্তোনিও দে রোজারিও: ব্রাহ্মণ-রোমান-ক্যাথলিক-সংবাদ|দোম আন্তোনিও দে রোজারিও: ''ব্রাহ্মণ-রোমান-ক্যাথলিক-সংবাদ'']]
## [[/গদ্যসাহিত্যের সূত্রপাত#মানোএল দ্য আস্মুম্পসাঁউ: কৃপার শাস্ত্রের অর্থভেদ|মানোএল দ্য আস্মুম্পসাঁউ: ''কৃপার শাস্ত্রের অর্থভেদ'']]
## [[/গদ্যসাহিত্যের সূত্রপাত#অন্যান্য নিদর্শন|অন্যান্য নিদর্শন]]
## [[/গদ্যসাহিত্যের সূত্রপাত#দেশীয় লেখকদের কৃতিত্ব|দেশীয় লেখকদের কৃতিত্ব]]
# [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ|শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ]]
## [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ#শ্রীরামপুর ব্যাপটিস্ট মিশন|শ্রীরামপুর ব্যাপটিস্ট মিশন]]
### [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ#শ্রীরামপুর ব্যাপটিস্ট মিশন প্রতিষ্ঠা|শ্রীরামপুর ব্যাপটিস্ট মিশন প্রতিষ্ঠা]]
### [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ#বাইবেল অনুবাদ|বাইবেল অনুবাদ]]
### [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ#ছাপাখানা প্রতিষ্ঠা ও সাময়িকপত্র|ছাপাখানা প্রতিষ্ঠা ও সাময়িকপত্র]]
### [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ#মিশনারিদের রচনার বৈশিষ্ট্য|মিশনারিদের রচনার বৈশিষ্ট্য]]
## [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ#ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ|ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ]]
### [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ#ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের প্রতিষ্ঠা|ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের প্রতিষ্ঠা]]
### [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ#পণ্ডিত-মুন্সিদের রচনা|পণ্ডিত-মুন্সিদের রচনা]]
#### [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ#উইলিয়াম কেরি|উইলিয়াম কেরি]]
#### [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ#রামরাম বসু|রামরাম বসু]]
#### [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ#মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার|মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার]]
#### [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ#অন্যান্য লেখকবর্গ|অন্যান্য লেখকবর্গ]]
### [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ#পণ্ডিত-মুন্সিদের গদ্যের রচনার বৈশিষ্ট্য|পণ্ডিত-মুন্সিদের গদ্যের রচনার বৈশিষ্ট্য]]
## [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ#মিশনারি ও কলেজের পণ্ডিত-মুন্সিদের গদ্যচর্চার তুলনা|মিশনারি ও কলেজের পণ্ডিত-মুন্সিদের গদ্যচর্চার তুলনা]]
# [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র|উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র]]
## [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#সংবাদপত্রের সূচনা|সংবাদপত্রের সূচনা]]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#দিগ্দর্শন|দিগ্দর্শন]]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#সমাচার-দর্পণ|সমাচার-দর্পণ]]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#গঙ্গাকিশোর ভট্টাচার্যের বেঙ্গল গেজেট|গঙ্গাকিশোর ভট্টাচার্যের ''বেঙ্গল গেজেট'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#সম্বাদ কৌমুদী|''সম্বাদ কৌমুদী'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#সমাচার-চন্দ্রিকা|''সমাচার-চন্দ্রিকা'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#সংবাদ প্রভাকর|''সংবাদ প্রভাকর'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা|''তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#উনিশ শতকের প্রথমার্ধের অন্যান্য পত্রপত্রিকা|উনিশ শতকের প্রথমার্ধের অন্যান্য পত্রপত্রিকা]]
## [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#উনিশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধের পত্রপত্রিকা|উনিশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধের পত্রপত্রিকা]]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#বিবিধার্থ সংগ্রহ|''বিবিধার্থ সংগ্রহ'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#মাসিক পত্রিকা|''মাসিক পত্রিকা'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#এডুকেশন গেজেট|''এডুকেশন গেজেট'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#সোমপ্রকাশ|''সোমপ্রকাশ'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#রহস্য-সন্দর্ভ|''রহস্য-সন্দর্ভ'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#অবোধবন্ধু|''অবোধবন্ধু'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#বঙ্গদর্শন|''বঙ্গদর্শন'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#প্রচার|''প্রচার'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#নবজীবন|''নবজীবন'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#ভারতী|''ভারতী'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#বালক|''বালক'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#সাধনা|''সাধনা'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#বঙ্গবাসী|''বঙ্গবাসী'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#হিতবাদী|''হিতবাদী'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#জন্মভূমি|''জন্মভূমি'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#বামাবোধিনী|''বামাবোধিনী'']]
## [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#পত্রিকাকেন্দ্রিক লেখকগোষ্ঠী|পত্রিকাকেন্দ্রিক লেখকগোষ্ঠী]]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#তত্ত্ববোধিনী গোষ্ঠী|তত্ত্ববোধিনী গোষ্ঠী]]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#বঙ্গদর্শন গোষ্ঠী|বঙ্গদর্শন গোষ্ঠী]]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#ভারতী ও সাধনা গোষ্ঠী|ভারতী ও সাধনা গোষ্ঠী]]
## [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#অবদান|অবদান]]
# [[/রাজা রামমোহন রায়|রাজা রামমোহন রায়]]
## [[/রাজা রামমোহন রায়#রামমোহন রায়ের রচনাবলি|রামমোহন রায়ের রচনাবলি]]
## [[/রাজা রামমোহন রায়#রামমোহন রায়ের গদ্যরীতি|রামমোহন রায়ের গদ্যরীতি]]
## [[/রাজা রামমোহন রায়#গদ্যশিল্পে রামমোহন রায়ের প্রভাব|গদ্যশিল্পে রামমোহন রায়ের প্রভাব]]
# [[/অক্ষয়কুমার দত্ত|অক্ষয়কুমার দত্ত]]
# [[/ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর|ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর]]
## [[/ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর#অনুবাদ সাহিত্য|অনুবাদ সাহিত্য]]
## [[/ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর#মৌলিক রচনা|মৌলিক রচনা]]
## [[/ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর#বিদ্যাসাগরের গদ্যরীতির বৈশিষ্ট্য|বিদ্যাসাগরের গদ্যরীতির বৈশিষ্ট্য]]
## [[/ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর#‘বাংলা গদ্যের জনক’|‘বাংলা গদ্যের জনক’]]
# [[/দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর|দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর]]
# [[/ভূদেব মুখোপাধ্যায়|ভূদেব মুখোপাধ্যায়]]
# [[/রাজনারায়ণ বসু|রাজনারায়ণ বসু]]
# [[/বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রবন্ধসাহিত্য|বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রবন্ধসাহিত্য]]
## [[/বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রবন্ধসাহিত্য#বঙ্কিমচন্দ্রের প্রবন্ধসাহিত্যে বৈচিত্র্য|বৈচিত্র্য]]
## [[/বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রবন্ধসাহিত্য#জ্ঞানচর্চামূলক প্রবন্ধ|জ্ঞানচর্চামূলক প্রবন্ধ]]
## [[/বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রবন্ধসাহিত্য#বিচারমূলক প্রবন্ধ|বিচারমূলক প্রবন্ধ]]
## [[/বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রবন্ধসাহিত্য#রসব্যঞ্জনামূলক প্রবন্ধ|রসব্যঞ্জনামূলক প্রবন্ধ]]
## [[/বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রবন্ধসাহিত্য#প্রবন্ধসাহিত্যে বঙ্কিমচন্দ্রের অবদান|অবদান]]
# [[/বঙ্কিম-সমকালীন প্রাবন্ধিক গোষ্ঠী|বঙ্কিম-সমকালীন প্রাবন্ধিক গোষ্ঠী]]
# [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক বাংলা প্রবন্ধসাহিত্য|রবীন্দ্র-সমসাময়িক প্রবন্ধসাহিত্য]]
## [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক বাংলা প্রবন্ধসাহিত্য#বলেন্দ্রনাথ ঠাকুর|বলেন্দ্রনাথ ঠাকুর]]
## [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক বাংলা প্রবন্ধসাহিত্য#অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর|অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর]]
## [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক বাংলা প্রবন্ধসাহিত্য#রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদী|রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদী]]
## [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক বাংলা প্রবন্ধসাহিত্য#প্রমথ চৌধুরী|প্রমথ চৌধুরী]]
## [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক বাংলা প্রবন্ধসাহিত্য#পাঁচকড়ি বন্দ্যোপাধ্যায়|পাঁচকড়ি বন্দ্যোপাধ্যায়]]
## [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক বাংলা প্রবন্ধসাহিত্য#মোহিতলাল মজুমদার|মোহিতলাল মজুমদার]]
## [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক বাংলা প্রবন্ধসাহিত্য#রবীন্দ্র-পরবর্তীকালের বাংলা প্রবন্ধসাহিত্য|রবীন্দ্র-পরবর্তীকালের বাংলা প্রবন্ধসাহিত্য]]
===পরিশিষ্ট: বাংলা গদ্যসাহিত্য===
# [[/রামমোহন, বিদ্যাসাগর ও অক্ষয়কুমারের অবদান|রামমোহন, বিদ্যাসাগর ও অক্ষয়কুমারের অবদান]]
# [[/বাংলা গদ্যে আলালী ও বিদ্যাসাগরী রীতির বিবর্তন|বাংলা গদ্যে আলালী ও বিদ্যাসাগরী রীতির বিবর্তন]]
# [[/বাংলা গদ্যে চলিত রীতির বিবর্তন|বাংলা গদ্যে চলিত রীতি বিবর্তন]]
# [[/ভূদেব মুখোপাধ্যায় ও বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়|ভূদেব মুখোপাধ্যায় ও বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়]]
=== পর্ব ২: বাংলা উপন্যাস ও ছোটোগল্প ===
# [[/উপন্যাসের সূত্রপাত|বাংলা সাহিত্যে উপন্যাসের সূত্রপাত]]
## [[/উপন্যাসের সূত্রপাত#উপন্যাসের সূত্রপাত|উপন্যাসের সূত্রপাত]]
## [[/উপন্যাসের সূত্রপাত#উপন্যাস রচনার প্রথম প্রচেষ্টা|উপন্যাস রচনার প্রথম প্রচেষ্টা]]
## [[/উপন্যাসের সূত্রপাত#হানা ক্যাথারিন মুলেন্সের ফুলমণি ও করুণার বৃত্তান্ত|হানা ক্যাথারিন মুলেন্সের ''ফুলমণি ও করুণার বৃত্তান্ত'']]
## [[/উপন্যাসের সূত্রপাত#প্যারীচাঁদ মিত্রের আলালের ঘরের দুলাল|প্যারীচাঁদ মিত্রের ''আলালের ঘরের দুলাল'']]
## [[/উপন্যাসের সূত্রপাত#কালীপ্রসন্ন সিংহের হুতোম প্যাঁচার নক্সা|কালীপ্রসন্ন সিংহের ''হুতোম প্যাঁচার নক্সা'']]
## [[/উপন্যাসের সূত্রপাত#রোম্যান্স রচনার সূত্রপাত|রোম্যান্স রচনার সূত্রপাত: ভূদেব মুখোপাধ্যায়, কৃষ্ণকমল ভট্টাচার্য ও গোপীমোহন ঘোষ]]
## [[/উপন্যাসের সূত্রপাত#সূচনা পর্বের উপন্যাসের সাহিত্যমূল্য|সূচনা পর্বের উপন্যাসের সাহিত্যমূল্য]]
# [[/বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের উপন্যাস|বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের উপন্যাস]]
# [[/বঙ্কিম-সমকালীন ঔপন্যাসিক গোষ্ঠী|বঙ্কিম-সমকালীন ঔপন্যাসিক গোষ্ঠী]]
## [[/বঙ্কিম-সমকালীন ঔপন্যাসিক গোষ্ঠী#রমেশচন্দ্র দত্ত|রমেশচন্দ্র দত্ত]]
## [[/বঙ্কিম-সমকালীন ঔপন্যাসিক গোষ্ঠী#সঞ্জীবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়|সঞ্জীবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়]]
## [[/বঙ্কিম-সমকালীন ঔপন্যাসিক গোষ্ঠী#তারকনাথ গঙ্গোপাধ্যায়|তারকনাথ গঙ্গোপাধ্যায়]]
## [[/বঙ্কিম-সমকালীন ঔপন্যাসিক গোষ্ঠী#প্রতাপচন্দ্র ঘোষ|প্রতাপচন্দ্র ঘোষ]]
## [[/বঙ্কিম-সমকালীন ঔপন্যাসিক গোষ্ঠী#স্বর্ণকুমারী দেবী|স্বর্ণকুমারী দেবী]]
## [[/বঙ্কিম-সমকালীন ঔপন্যাসিক গোষ্ঠী#বঙ্কিমযুগের অন্যান্য ঔপন্যাসিক|বঙ্কিমযুগের অন্যান্য ঔপন্যাসিক]]
# [[/বিশ শতকের বাংলা উপন্যাস|বিশ শতকের বাংলা উপন্যাস]]
# [[/প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়ের উপন্যাস|প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়ের উপন্যাস]]
# [[/শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের উপন্যাস|শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের উপন্যাস]]
# [[/শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ছোটোগল্প|শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ছোটোগল্প]]
# [[/বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়|বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়]]
# [[/তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়|তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়]]
# [[/মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়|মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়]]
# [[/বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায়|বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায়]]
# [[/দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী যুগের ছোটোগল্প ও উপন্যাস|দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী যুগের ছোটোগল্প ও উপন্যাস]]
## [[/দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী যুগের ছোটোগল্প ও উপন্যাস#হৃদয়বৃত্তিমূলক কথাসাহিত্য|হৃদয়বৃত্তিমূলক কথাসাহিত্য]]
## [[/দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী যুগের ছোটোগল্প ও উপন্যাস#চিন্তামূলক মননশীল কথাসাহিত্য|চিন্তামূলক মননশীল কথাসাহিত্য]]
## [[/দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী যুগের ছোটোগল্প ও উপন্যাস#বিকৃত-চিন্তামূলক বিদ্রোহাত্মক কথাসাহিত্য|বিকৃত-চিন্তামূলক বিদ্রোহাত্মক কথাসাহিত্য]]
## [[/দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী যুগের ছোটোগল্প ও উপন্যাস#বাস্তববুদ্ধিমূলক মানবিক কথাসাহিত্য|বাস্তববুদ্ধিমূলক মানবিক কথাসাহিত্য]]
## [[/দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী যুগের ছোটোগল্প ও উপন্যাস#কৌতুকরসাত্মক কথাসাহিত্য|কৌতুকরসাত্মক কথাসাহিত্য]]
=== পর্ব ৩: বাংলা নাটক ===
# [[/উদ্ভব|বাংলা নাটকের উদ্ভব]]
# [[/নাট্যশালার ইতিহাস|বাংলা নাট্যশালার ইতিহাস]]
# [[/সাধারণ রঙ্গালয় প্রতিষ্ঠার পূর্ববর্তী নাটক|সাধারণ রঙ্গালয় প্রতিষ্ঠার পূর্ববর্তী নাটক]]
# [[/রামনারায়ণ তর্করত্ন|রামনারায়ণ তর্করত্ন]]
## [[/রামনারায়ণ তর্করত্ন#কুলীনকুলসর্বস্ব|''কুলীনকুলসর্বস্ব'']]
## [[/রামনারায়ণ তর্করত্ন#অন্যান্য নাটক|অন্যান্য নাটক]]
## [[/রামনারায়ণ তর্করত্ন#মূল্যায়ন|মূল্যায়ন]]
# [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের নাট্যসাহিত্য|মাইকেল মধুসূদন দত্ত]]
## [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের নাট্যসাহিত্য#প্রাক্-মধুসূদন যুগের বাংলা নাটক ও মধুসূদন|প্রাক্-মধুসূদন যুগের বাংলা নাটক ও মধুসূদন]]
## [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের নাট্যসাহিত্য#পৌরাণিক নাটক|পৌরাণিক নাটক]]
### [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের নাট্যসাহিত্য#''শর্মিষ্ঠা''|''শর্মিষ্ঠা'']]
### [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের নাট্যসাহিত্য#''পদ্মাবতী''|''পদ্মাবতী'']]
## [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের নাট্যসাহিত্য#ঐতিহাসিক নাটক: ট্র্যাজেডি|ঐতিহাসিক নাটক: ট্র্যাজেডি]]
### [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের নাট্যসাহিত্য#''কৃষ্ণকুমারী''|''কৃষ্ণকুমারী'']]
## [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের নাট্যসাহিত্য#প্রহসন|প্রহসন: ''একেই কি বলে সভ্যতা'' ও ''বুড়ো শালিকের ঘাড়ে রোঁ'']]
## [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের নাট্যসাহিত্য#প্রহসন|অন্যান্য নাটক: ''মায়াকানন'' ও ''বিষ না ধনুর্গুণ'']]
## [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের নাট্যসাহিত্য#বাংলা নাটকের ইতিহাসে মাইকেল মধুসূদন দত্তের স্থান|বাংলা নাটকের ইতিহাসে মাইকেল মধুসূদন দত্তের স্থান]]
# [[/দীনবন্ধু মিত্র|দীনবন্ধু মিত্র]]
## [[/দীনবন্ধু মিত্র#সামাজিক নাটক|সামাজিক নাটক]]
### [[/দীনবন্ধু মিত্র#নীলদর্পণ|''নীলদর্পণ'']]
#### [[/দীনবন্ধু মিত্র#নীল বিদ্রোহ ও নীলদর্পণ নাটক|নীল বিদ্রোহ ও ''নীলদর্পণ'' নাটক]]
#### [[/দীনবন্ধু মিত্র#নীলদর্পণ নাটকের সংক্ষিপ্ত কাহিনি|''নীলদর্পণ'' নাটকের সংক্ষিপ্ত কাহিনি]]
#### [[/দীনবন্ধু মিত্র#সমালোচনা|সমালোচনা]]
## [[/দীনবন্ধু মিত্র#অন্যান্য নাটক|অন্যান্য নাটক]]
### [[/দীনবন্ধু মিত্র#প্রহসন|প্রহসন]]
#### [[/দীনবন্ধু মিত্র#সধবার একাদশী ও নিমচাঁদ চরিত্র|''সধবার একাদশী'' ও নিমচাঁদ চরিত্র]]
## [[/দীনবন্ধু মিত্র#বাংলা নাট্যসাহিত্যে দীনবন্ধু মিত্রের অবদান|বাংলা নাট্যসাহিত্যে দীনবন্ধু মিত্রের অবদান]]
# [[/মনোমোহন বসু|মনোমোহন বসু]]
# [[/জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর|জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর]]
## [[/জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর#জ্যোতিরিন্দ্রনাথের ঐতিহাসিক নাটক|ঐতিহাসিক নাটক]]
## [[/জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর#জ্যোতিরিন্দ্রনাথের প্রহসন|প্রহসন]]
## [[/জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর#জ্যোতিরিন্দ্রনাথের অনুবাদ নাটক|অনুবাদ নাটক]]
# [[/উপেন্দ্রনাথ দাস|উপেন্দ্রনাথ দাস]]
# [[/রাজকৃষ্ণ রায়|রাজকৃষ্ণ রায়]]
# [[/গিরিশচন্দ্র ঘোষ|গিরিশচন্দ্র ঘোষ]]
# [[/অমৃতলাল বসু|অমৃতলাল বসু]]
# [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়|দ্বিজেন্দ্রলাল রায়]]
## [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#প্রহসন|প্রহসন]]
### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#কল্কি অবতার|''কল্কি অবতার'']]
### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#বিরহ|''বিরহ'']]
### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#ত্র্যহস্পর্শ|''ত্র্যহস্পর্শ'']]
### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#প্রায়শ্চিত্ত|''প্রায়শ্চিত্ত'']]
### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#পুনর্জন্ম|''পুনর্জন্ম'']]
### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#আনন্দবিদায়|''আনন্দবিদায়'']]
## [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#পৌরাণিক নাটক|পৌরাণিক নাটক]]
### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#পাষাণী|''পাষাণী'']]
### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#সীতা|''সীতা'']]
### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#ভীষ্ম|''ভীষ্ম'']]
## [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#সামাজিক নাটক|সামাজিক নাটক]]
### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#পরপারে|''পরপারে'']]
### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#বঙ্গনারী|''বঙ্গনারী'']]
## [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#অপেরা|অপেরা]]
### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#সোরাব-রুস্তম|''সোরাব-রুস্তম'']]
## [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#ঐতিহাসিক নাটক|ঐতিহাসিক নাটক]]
### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#রাজপুত ইতিহাস-নির্ভর ঐতিহাসিক নাটক|রাজপুত ইতিহাস-নির্ভর ঐতিহাসিক নাটক]]
#### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#তারাবাঈ|''তারাবাঈ'']]
#### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#রাণা প্রতাপ সিংহ|''রাণা প্রতাপ সিংহ'']]
#### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#দুর্গাদাস|''দুর্গাদাস'']]
#### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#মেবার পতন|''মেবার পতন'']]
### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#অন্যান্য ঐতিহাসিক নাটক|অন্যান্য ঐতিহাসিক নাটক]]
#### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#নূরজাহান|''নূরজাহান'']]
#### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#সাজাহান|''সাজাহান'']]
#### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#চন্দ্রগুপ্ত|''চন্দ্রগুপ্ত'']]
#### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#সিংহল বিজয়|''সিংহল বিজয়'']]
## [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#দ্বিজেন্দ্রলালের নাটকে সংলাপের ভাষা|দ্বিজেন্দ্রলালের নাটকে সংলাপের ভাষা]]
## [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#মূল্যায়ন|মূল্যায়ন]]
# [[/ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ|ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ]]
## [[/ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ#অপেরা বা গীতিমুখর নাটক|অপেরা বা গীতিমুখর নাটক]]
## [[/ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ#পৌরাণিক নাটক|পৌরাণিক নাটক]]
## [[/ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ#কাল্পনিক নাটক|কাল্পনিক নাটক]]
## [[/ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ#অপেরা বা গীতিমুখর নাটক|অপেরা বা গীতিমুখর নাটক]]
## [[/ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ#ঐতিহাসিক নাটক|ঐতিহাসিক নাটক]]
## [[/ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ#মূল্যায়ন|মূল্যায়ন]]
# [[/বিশ শতকের বাংলা নাটক|বিশ শতকের বাংলা নাটক]]
## [[/বিশ শতকের বাংলা নাটক#অপরেশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়|অপরেশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়]]
## [[/বিশ শতকের বাংলা নাটক#গতানুগতিক ধারার নাট্যকারগণ|গতানুগতিক ধারার নাট্যকারগণ]]
## [[/বিশ শতকের বাংলা নাটক#যোগেশচন্দ্র চৌধুরী|যোগেশচন্দ্র চৌধুরী]]
## [[/বিশ শতকের বাংলা নাটক#মন্মথ রায়|মন্মথ রায়]]
## [[/বিশ শতকের বাংলা নাটক#শচীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত|শচীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত]]
## [[/বিশ শতকের বাংলা নাটক#বিধায়ক ভট্টাচার্য|বিধায়ক ভট্টাচার্য]]
## [[/বিশ শতকের বাংলা নাটক#প্রমথনাথ বিশী|প্রমথনাথ বিশী]]
## [[/বিশ শতকের বাংলা নাটক#জীবনী নাটক|জীবনী নাটক]]
## [[/বিশ শতকের বাংলা নাটক#নবনাট্য আন্দোলন|নবনাট্য আন্দোলন]]
## [[/বিশ শতকের বাংলা নাটক#বিদেশি নাটকের বঙ্গীকরণ|বিদেশি নাটকের বঙ্গীকরণ]]
# [[/পৌরাণিক নাটক|বাংলা পৌরাণিক নাটকের বিকাশ]]
## [[/পৌরাণিক নাটক#প্রথম পর্বের বাংলা পৌরাণিক নাটক|প্রথম পর্ব: হরচন্দ্র ঘোষ, কালীপ্রসন্ন সিংহ, মাইকেল মধুসূদন দত্ত ও রামনারায়ণ তর্করত্ন]]
## [[/পৌরাণিক নাটক#দ্বিতীয় পর্বের বাংলা পৌরাণিক নাটক|দ্বিতীয় পর্ব: মনোমোহন বসু, রাজকৃষ্ণ রায়, অতুলকৃষ্ণ মিত্র ও গিরিশচন্দ্র ঘোষ]]
## [[/পৌরাণিক নাটক#তৃতীয় পর্বের বাংলা পৌরাণিক নাটক|তৃতীয় পর্ব: দ্বিজেন্দ্রলাল রায়, ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ, অপরেশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়, ভূপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, যোগেশচন্দ্র চৌধুরী, মন্মথ রায় ও মহেন্দ্র গুপ্ত]]
## [[/পৌরাণিক নাটক#বাংলা পৌরাণিক নাটকের পরিণতি|পরিণতি]]
# [[/ঐতিহাসিক নাটক|বাংলা ঐতিহাসিক নাটকের বিকাশ]]
# [[/সামাজিক ও পারিবারিক নাটক|বাংলা সামাজিক ও পারিবারিক নাটকের বিকাশ]]
## [[/সামাজিক ও পারিবারিক নাটক#প্রথম পর্বের সামাজিক নাটক|প্রথম পর্বের সামাজিক নাটক: রামনারায়ণ তর্করত্ন, উমেশচন্দ্র মিত্র, দীনবন্ধু মিত্র ও অন্যান্য]]
## [[/সামাজিক ও পারিবারিক নাটক#দ্বিতীয় পর্বের সামাজিক ও পারিবারিক নাটক|দ্বিতীয় পর্বের সামাজিক ও পারিবারিক নাটক: উপেন্দ্রনাথ দাস, গিরিশচন্দ্র ঘোষ, দ্বিজেন্দ্রলাল রায় ও অন্যান্য]]
## [[/সামাজিক ও পারিবারিক নাটক#তৃতীয় পর্বের পারিবারিক নাটক|তৃতীয় পর্বের পারিবারিক নাটক: শচীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত, জলধর চট্টোপাধ্যায়, মহেন্দ্র গুপ্ত ও বিধায়ক ভট্টাচার্য]]
## [[/সামাজিক ও পারিবারিক নাটক#চতুর্থ পর্বের আধুনিক সমাজ-সচেতন নাটক|চতুর্থ পর্বের আধুনিক সমাজ-সচেতন নাটক: বিজন ভট্টাচার্য, তুলসী লাহিড়ী, সলিল সেন ও অন্যান্য]]
# [[/প্রহসন|বাংলা প্রহসনের বিকাশ]]
## [[/প্রহসন#প্রথম পর্বের প্রহসন: রামনারায়ণ তর্করত্ন, কালীপ্রসন্ন সিংহ, মাইকেল মধুসূদন দত্ত, দীনবন্ধু মিত্র ও জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর|প্রথম পর্বের প্রহসন: রামনারায়ণ তর্করত্ন, কালীপ্রসন্ন সিংহ, মাইকেল মধুসূদন দত্ত, দীনবন্ধু মিত্র ও জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর]]
## [[/প্রহসন#দ্বিতীয় পর্বের প্রহসন: গিরিশচন্দ্র ঘোষ, অমৃতলাল বসু, দ্বিজেন্দ্রলাল রায়, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর|দ্বিতীয় পর্বের প্রহসন: গিরিশচন্দ্র ঘোষ, অমৃতলাল বসু, দ্বিজেন্দ্রলাল রায়, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর]]
## [[/প্রহসন#তৃতীয় পর্বের প্রহসন: রবীন্দ্রনাথ মৈত্র, প্রমথনাথ বিশী, বিধায়ক ভট্টাচার্য প্রমুখ|তৃতীয় পর্বের প্রহসন: রবীন্দ্রনাথ মৈত্র, প্রমথনাথ বিশী, বিধায়ক ভট্টাচার্য প্রমুখ]]
=== পর্ব ৪: আধুনিক বাংলা কাব্যসাহিত্য ===
# [[/কবিওয়ালা|কবিওয়ালা]]
# [[/ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত|ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত]]
# [[/মদনমোহন তর্কালঙ্কার|মদনমোহন তর্কালঙ্কার]]
# [[/উনিশ শতকের মহাকাব্য ও আখ্যানকাব্য|উনিশ শতকের বাংলা মহাকাব্য ও আখ্যানকাব্য]]
## [[/উনিশ শতকের মহাকাব্য ও আখ্যানকাব্য#আখ্যানকাব্যের বৈশিষ্ট্য|আখ্যানকাব্যের বৈশিষ্ট্য]]
## [[/উনিশ শতকের মহাকাব্য ও আখ্যানকাব্য#মহাকাব্যের বৈশিষ্ট্য|মহাকাব্যের বৈশিষ্ট্য]]
### [[/উনিশ শতকের মহাকাব্য ও আখ্যানকাব্য#মাইকেল মধুসূদন দত্তের মহাকাব্য|মাইকেল মধুসূদন দত্তের মহাকাব্য]]
### [[/উনিশ শতকের মহাকাব্য ও আখ্যানকাব্য#হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের মহাকাব্য ও আখ্যানকাব্য|হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের মহাকাব্য ও আখ্যানকাব্য]]
### [[/উনিশ শতকের মহাকাব্য ও আখ্যানকাব্য#নবীনচন্দ্র সেনের মহাকাব্য ও আখ্যানকাব্য|নবীনচন্দ্র সেনের মহাকাব্য ও আখ্যানকাব্য]]
## [[/উনিশ শতকের মহাকাব্য ও আখ্যানকাব্য#বাংলা মহাকাব্যের পরিণতি|বাংলা মহাকাব্যের পরিণতি]]
## [[/উনিশ শতকের মহাকাব্য ও আখ্যানকাব্য#বাংলা আখ্যানকাব্যের পরিণতি|বাংলা আখ্যানকাব্যের পরিণতি]]
# [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের কাব্যসাহিত্য|মাইকেল মধুসূদন দত্ত]]
## [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের কাব্যসাহিত্য#কাব্যসাহিত্য|কাব্যসাহিত্য]]
### [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের কাব্যসাহিত্য#তিলোত্তমাসম্ভব কাব্য|''তিলোত্তমাসম্ভব কাব্য'']]
### [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের কাব্যসাহিত্য#মেঘনাদবধ কাব্য|''মেঘনাদবধ কাব্য'']]
### [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের কাব্যসাহিত্য#ব্রজাঙ্গনা কাব্য|''ব্রজাঙ্গনা কাব্য'']]
### [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের কাব্যসাহিত্য#বীরাঙ্গনা কাব্য|''বীরাঙ্গনা কাব্য'']]
### [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের কাব্যসাহিত্য#চতুর্দশপদী কবিতাবলী|''চতুর্দশপদী কবিতাবলী'']]
## [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের কাব্যসাহিত্য#মূল্যায়ন|মূল্যায়ন]]
# [[/হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়|হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়]]
# [[/নবীনচন্দ্র সেন|নবীনচন্দ্র সেন]]
# [[/বিহারীলাল চক্রবর্তী|বিহারীলাল চক্রবর্তী]]
## [[/বিহারীলাল চক্রবর্তী#রচনাবলি|রচনাবলি]]
## [[/বিহারীলাল চক্রবর্তী#কবিপ্রতিভার বৈশিষ্ট্য|কবিপ্রতিভার বৈশিষ্ট্য]]
## [[/বিহারীলাল চক্রবর্তী#শৈল্পিক ত্রুটি|শৈল্পিক ত্রুটি]]
## [[/বিহারীলাল চক্রবর্তী#বিশুদ্ধ গীতিকবিতার জনক বিহারীলাল|বিশুদ্ধ গীতিকবিতার জনক বিহারীলাল]]
# [[/আখ্যানকাব্য ও গীতিকাব্যের ধারা ও পরিণাম|বাংলা আখ্যানকাব্য ও গীতিকাব্যের ধারা ও পরিণাম]]
# [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক কবিগণ|রবীন্দ্র-সমসাময়িক কবিগণ]]
## [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক কবিগণ#রবীন্দ্র-পরিমণ্ডলের অন্তর্ভুক্ত কবিগণ|রবীন্দ্র-পরিমণ্ডলের অন্তর্ভুক্ত কবিগণ]]
## [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক কবিগণ#রবীন্দ্র-প্রভাবিক কবিগোষ্ঠী|রবীন্দ্র-প্রভাবিক কবিগোষ্ঠী]]
### [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক কবিগণ#দ্বিজেন্দ্রলাল রায়|দ্বিজেন্দ্রলাল রায়]]
### [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক কবিগণ#সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত|সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত]]
### [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক কবিগণ#করুণানিধন বন্দ্যোপাধ্যায়|করুণানিধন বন্দ্যোপাধ্যায়]]
### [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক কবিগণ#যতীন্দ্রমোহন বাগচি|যতীন্দ্রমোহন বাগচি]]
### [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক কবিগণ#কুমুদরঞ্জন মল্লিক, কালিদাস রায় ও কিরণধন চট্টোপাধ্যায়|কুমুদরঞ্জন মল্লিক, কালিদাস রায় ও কিরণধন চট্টোপাধ্যায়]]
## [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক কবিগণ#রবীন্দ্রবিরোধী কবিগোষ্ঠী|রবীন্দ্রবিরোধী কবিগোষ্ঠী]]
### [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক কবিগণ#মোহিতলাল মজুমদার|মোহিতলাল মজুমদার]]
### [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক কবিগণ#যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত|যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত]]
### [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক কবিগণ#কাজী নজরুল ইসলাম|কাজী নজরুল ইসলাম]]
# [[/উনিশ শতকের মহিলা কবিগণ|উনিশ শতকের মহিলা কবিগণ]]
## [[/উনিশ শতকের মহিলা কবিগণ#মোক্ষদায়িনী মুখোপাধ্যায়|মোক্ষদায়িনী মুখোপাধ্যায়]]
## [[/উনিশ শতকের মহিলা কবিগণ#স্বর্ণকুমারী দেবী|স্বর্ণকুমারী দেবী]]
## [[/উনিশ শতকের মহিলা কবিগণ#গিরীন্দ্রমোহিনী দাসী|গিরীন্দ্রমোহিনী দাসী]]
## [[/উনিশ শতকের মহিলা কবিগণ#মানকুমারী বসু|মানকুমারী বসু]]
## [[/উনিশ শতকের মহিলা কবিগণ#কামিনী রায়|কামিনী রায়]]
## [[/উনিশ শতকের মহিলা কবিগণ#সরোজকুমারী দেবী|সরোজকুমারী দেবী]]
## [[/উনিশ শতকের মহিলা কবিগণ#অন্যান্য মহিলা কবিগণ|অন্যান্য মহিলা কবিগণ]]
# [[/রবীন্দ্র-পরবর্তী বাংলা কবিতা|রবীন্দ্র-পরবর্তী বাংলা কবিতা]]
## [[/রবীন্দ্র-পরবর্তী বাংলা কবিতা#বুদ্ধদেব বসু|বুদ্ধদেব বসু]]
## [[/রবীন্দ্র-পরবর্তী বাংলা কবিতা#জীবনানন্দ দাশ|জীবনানন্দ দাশ]]
## [[/রবীন্দ্র-পরবর্তী বাংলা কবিতা#অজিত দত্ত|অজিত দত্ত]]
## [[/রবীন্দ্র-পরবর্তী বাংলা কবিতা#সুধীন্দ্রনাথ দত্ত|সুধীন্দ্রনাথ দত্ত]]
## [[/রবীন্দ্র-পরবর্তী বাংলা কবিতা#বিষ্ণু দে|বিষ্ণু দে]]
## [[/রবীন্দ্র-পরবর্তী বাংলা কবিতা#প্রেমেন্দ্র মিত্র|প্রেমেন্দ্র মিত্র]]
## [[/রবীন্দ্র-পরবর্তী বাংলা কবিতা#অমিয় চক্রবর্তী|অমিয় চক্রবর্তী]]
## [[/রবীন্দ্র-পরবর্তী বাংলা কবিতা#সমর সেন|সমর সেন]]
## [[/রবীন্দ্র-পরবর্তী বাংলা কবিতা#সুকান্ত ভট্টাচার্য|সুকান্ত ভট্টাচার্য]]
## [[/রবীন্দ্র-পরবর্তী বাংলা কবিতা#অন্যান্য কবিগণ|অন্যান্য কবিগণ]]
=== পর্ব ৫: রবীন্দ্রসাহিত্য ===
# [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতা|কবিতা]]
# [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক|নাটক]]
## [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#রবীন্দ্রনাথের গীতিনাট্য: বাল্মীকিপ্রতিভা, কালমৃগয়া ও মায়ার খেলা|রবীন্দ্রনাথের গীতিনাট্য: ''বাল্মীকিপ্রতিভা'', ''কালমৃগয়া'' ও ''মায়ার খেলা'']]
## [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#রবীন্দ্রনাথের কাব্যনাট্য|কাব্যনাট্য]]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#প্রকৃতির প্রতিশোধ|''প্রকৃতির প্রতিশোধ'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#চিত্রাঙ্গদা|''চিত্রাঙ্গদা'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#বিদায় অভিশাপ|''বিদায় অভিশাপ'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#কাহিনী গ্রন্থের কাব্যনাট্যসমূহ|''কাহিনী'' গ্রন্থের কাব্যনাট্যসমূহ: "গান্ধারীর আবেদন", "সতী", "নরকবাস", "লক্ষ্মীর পরীক্ষা" ও "কর্ণকুন্তীসংবাদ"]]
## [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#রবীন্দ্রনাথের প্রথানুগ নাটক|প্রথানুগ নাটক]]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#রাজা ও রানী ও তপতী|''রাজা ও রানী'' ও ''তপতী'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#বিসর্জন|''বিসর্জন'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#মালিনী|''মালিনী'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#প্রায়শ্চিত্ত ও পরিত্রাণ|''প্রায়শ্চিত্ত'' ও ''পরিত্রাণ'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#রবীন্দ্রনাথের পারিবারিক নাটক: গৃহপ্রবেশ ও শোধবোধ|রবীন্দ্রনাথের পারিবারিক নাটক: ''গৃহপ্রবেশ'' ও ''শোধবোধ'']]
## [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#রবীন্দ্রনাথের প্রহসন বা কৌতুকনাট্য|প্রহসন বা কৌতুকনাট্য]]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#গোড়ায় গলদ ও শেষরক্ষা|''গোড়ায় গলদ'' ও ''শেষরক্ষা'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#বৈকুণ্ঠের খাতা|''বৈকুণ্ঠের খাতা'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#হাস্যকৌতুক ও ব্যঙ্গকৌতুক|''হাস্যকৌতুক'' ও ''ব্যঙ্গকৌতুক'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#চিরকুমার সভা|''চিরকুমার সভা'']]
## [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#রবীন্দ্রনাথের রূপক-সাংকেতিক নাটক|রূপক-সাংকেতিক নাটক]]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#শারদোৎসব ও ঋণশোধ|''শারদোৎসব'' ও ''ঋণশোধ'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#রাজা ও অরূপরতন|''রাজা'' ও ''অরূপরতন'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#অচলায়তন ও গুরু|''অচলায়তন'' ও ''গুরু'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#ডাকঘর|''ডাকঘর'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#ফাল্গুনী|''ফাল্গুনী'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#মুক্তধারা|''মুক্তধারা'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#রক্তকরবী|''রক্তকরবী'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#রথের রশি ও তাসের দেশ|''রথের রশি'' ও ''তাসের দেশ'']]
# [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উপন্যাস|উপন্যাস]]
# [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছোটোগল্প|ছোটোগল্প]]
# [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রবন্ধসাহিত্য|প্রবন্ধসাহিত্য]]
## [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রবন্ধসাহিত্য#প্রবন্ধসাহিত্যের শ্রেণিবিভাগ|প্রবন্ধসাহিত্যের শ্রেণিবিভাগ]]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রবন্ধসাহিত্য#প্রবন্ধসাহিত্যের শ্রেণিবিভাগ|প্রবন্ধসাহিত্যের শ্রেণিবিভাগ]]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রবন্ধসাহিত্য#সমালোচনা, সাহিত্যতত্ত্ব ও সাহিত্য আলোচনা-বিষয়ক প্রবন্ধ|সমালোচনা, সাহিত্যতত্ত্ব ও সাহিত্য আলোচনা-বিষয়ক প্রবন্ধ]]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রবন্ধসাহিত্য#শিক্ষা, সমাজ ও রাজনীতি-বিষয়ক প্রবন্ধ|শিক্ষা, সমাজ ও রাজনীতি-বিষয়ক প্রবন্ধ]]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রবন্ধসাহিত্য#ধর্ম, দর্শন ও অধ্যাত্ম-বিষয়ক প্রবন্ধ|ধর্ম, দর্শন ও অধ্যাত্ম-বিষয়ক প্রবন্ধ]]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রবন্ধসাহিত্য#ভ্রমণসাহিত্য|ভ্রমণসাহিত্য]]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রবন্ধসাহিত্য#পত্রসাহিত্য|পত্রসাহিত্য]]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রবন্ধসাহিত্য#আত্মকথা ও জীবনী|আত্মকথা ও জীবনী]]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রবন্ধসাহিত্য#আবেগধর্মী প্রবন্ধ|আবেগধর্মী প্রবন্ধ]]
## [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রবন্ধসাহিত্য#মূল্যায়ন|মূল্যায়ন]]
# [[/রবীন্দ্রসংগীত|রবীন্দ্রসংগীত]]
{{বিষয়|বাংলা সাহিত্য}}
{{বর্ণানুক্রমিক|আ}}
{{বিষয়|সাহিত্য}}
{{বইয়ের বিষয়শ্রেণী}}
2049zpf1w5cc6irr3wfz2yrkdov3hv7
84427
84417
2025-06-16T17:49:23Z
Jonoikobangali
676
/* পর্ব ৩: বাংলা নাটক */
84427
wikitext
text/x-wiki
{{অবস্থা|৫০%}}<p align=center><font size=7 color="DarkBlue"><b>আধুনিক বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস</b></font></p>
==সূচিপত্র==
=== ভূমিকা ===
# [[/আধুনিক যুগের সূত্রপাত|বাংলা সাহিত্যে আধুনিক যুগের সূত্রপাত]]
## [[/আধুনিক যুগের সূত্রপাত#আধুনিকতার লক্ষণ|আধুনিকতার লক্ষণ]]
### [[/আধুনিক যুগের সূত্রপাত#মানবতাবোধ|মানবতাবোধ]]
### [[/আধুনিক যুগের সূত্রপাত#জাতীয়তাবোধ|জাতীয়তাবোধ]]
### [[/আধুনিক যুগের সূত্রপাত#বৈজ্ঞানিক চেতনা ও যুক্তিবাদ|বৈজ্ঞানিক চেতনা ও যুক্তিবাদ]]
## [[/আধুনিক যুগের সূত্রপাত#আধুনিক সাহিত্যের বিকাশ|আধুনিক সাহিত্যের বিকাশ]]
### [[/আধুনিক যুগের সূত্রপাত#গদ্যসাহিত্য|গদ্যসাহিত্য]]
### [[/আধুনিক যুগের সূত্রপাত#কথাসাহিত্য|কথাসাহিত্য]]
### [[/আধুনিক যুগের সূত্রপাত#কাব্যসাহিত্য|কাব্যসাহিত্য]]
### [[/আধুনিক যুগের সূত্রপাত#নাট্যসাহিত্য|নাট্যসাহিত্য]]
## [[/আধুনিক যুগের সূত্রপাত#মূল্যায়ন|মূল্যায়ন]]
=== পর্ব ১: বাংলা গদ্যসাহিত্য ===
# [[/গদ্যসাহিত্যের সূত্রপাত|বাংলা গদ্যসাহিত্যের সূত্রপাত (উনিশ শতকের পূর্ববর্তী বাংলা গদ্যসাহিত্য)]]
## [[/গদ্যসাহিত্যের সূত্রপাত#কোচবিহারের রাজার চিঠি ও অন্যান্য দলিল|কোচবিহারের রাজার চিঠি ও অন্যান্য দলিল]]
## [[/গদ্যসাহিত্যের সূত্রপাত#বৈষ্ণব নিবন্ধে গদ্য|বৈষ্ণব নিবন্ধে গদ্য]]
## [[/গদ্যসাহিত্যের সূত্রপাত#দোমিঙ্গো দে সোসা|দোমিঙ্গো দে সোসা]]
## [[/গদ্যসাহিত্যের সূত্রপাত#দোম আন্তোনিও দে রোজারিও: ব্রাহ্মণ-রোমান-ক্যাথলিক-সংবাদ|দোম আন্তোনিও দে রোজারিও: ''ব্রাহ্মণ-রোমান-ক্যাথলিক-সংবাদ'']]
## [[/গদ্যসাহিত্যের সূত্রপাত#মানোএল দ্য আস্মুম্পসাঁউ: কৃপার শাস্ত্রের অর্থভেদ|মানোএল দ্য আস্মুম্পসাঁউ: ''কৃপার শাস্ত্রের অর্থভেদ'']]
## [[/গদ্যসাহিত্যের সূত্রপাত#অন্যান্য নিদর্শন|অন্যান্য নিদর্শন]]
## [[/গদ্যসাহিত্যের সূত্রপাত#দেশীয় লেখকদের কৃতিত্ব|দেশীয় লেখকদের কৃতিত্ব]]
# [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ|শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ]]
## [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ#শ্রীরামপুর ব্যাপটিস্ট মিশন|শ্রীরামপুর ব্যাপটিস্ট মিশন]]
### [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ#শ্রীরামপুর ব্যাপটিস্ট মিশন প্রতিষ্ঠা|শ্রীরামপুর ব্যাপটিস্ট মিশন প্রতিষ্ঠা]]
### [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ#বাইবেল অনুবাদ|বাইবেল অনুবাদ]]
### [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ#ছাপাখানা প্রতিষ্ঠা ও সাময়িকপত্র|ছাপাখানা প্রতিষ্ঠা ও সাময়িকপত্র]]
### [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ#মিশনারিদের রচনার বৈশিষ্ট্য|মিশনারিদের রচনার বৈশিষ্ট্য]]
## [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ#ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ|ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ]]
### [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ#ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের প্রতিষ্ঠা|ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের প্রতিষ্ঠা]]
### [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ#পণ্ডিত-মুন্সিদের রচনা|পণ্ডিত-মুন্সিদের রচনা]]
#### [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ#উইলিয়াম কেরি|উইলিয়াম কেরি]]
#### [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ#রামরাম বসু|রামরাম বসু]]
#### [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ#মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার|মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার]]
#### [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ#অন্যান্য লেখকবর্গ|অন্যান্য লেখকবর্গ]]
### [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ#পণ্ডিত-মুন্সিদের গদ্যের রচনার বৈশিষ্ট্য|পণ্ডিত-মুন্সিদের গদ্যের রচনার বৈশিষ্ট্য]]
## [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ#মিশনারি ও কলেজের পণ্ডিত-মুন্সিদের গদ্যচর্চার তুলনা|মিশনারি ও কলেজের পণ্ডিত-মুন্সিদের গদ্যচর্চার তুলনা]]
# [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র|উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র]]
## [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#সংবাদপত্রের সূচনা|সংবাদপত্রের সূচনা]]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#দিগ্দর্শন|দিগ্দর্শন]]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#সমাচার-দর্পণ|সমাচার-দর্পণ]]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#গঙ্গাকিশোর ভট্টাচার্যের বেঙ্গল গেজেট|গঙ্গাকিশোর ভট্টাচার্যের ''বেঙ্গল গেজেট'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#সম্বাদ কৌমুদী|''সম্বাদ কৌমুদী'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#সমাচার-চন্দ্রিকা|''সমাচার-চন্দ্রিকা'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#সংবাদ প্রভাকর|''সংবাদ প্রভাকর'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা|''তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#উনিশ শতকের প্রথমার্ধের অন্যান্য পত্রপত্রিকা|উনিশ শতকের প্রথমার্ধের অন্যান্য পত্রপত্রিকা]]
## [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#উনিশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধের পত্রপত্রিকা|উনিশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধের পত্রপত্রিকা]]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#বিবিধার্থ সংগ্রহ|''বিবিধার্থ সংগ্রহ'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#মাসিক পত্রিকা|''মাসিক পত্রিকা'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#এডুকেশন গেজেট|''এডুকেশন গেজেট'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#সোমপ্রকাশ|''সোমপ্রকাশ'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#রহস্য-সন্দর্ভ|''রহস্য-সন্দর্ভ'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#অবোধবন্ধু|''অবোধবন্ধু'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#বঙ্গদর্শন|''বঙ্গদর্শন'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#প্রচার|''প্রচার'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#নবজীবন|''নবজীবন'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#ভারতী|''ভারতী'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#বালক|''বালক'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#সাধনা|''সাধনা'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#বঙ্গবাসী|''বঙ্গবাসী'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#হিতবাদী|''হিতবাদী'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#জন্মভূমি|''জন্মভূমি'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#বামাবোধিনী|''বামাবোধিনী'']]
## [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#পত্রিকাকেন্দ্রিক লেখকগোষ্ঠী|পত্রিকাকেন্দ্রিক লেখকগোষ্ঠী]]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#তত্ত্ববোধিনী গোষ্ঠী|তত্ত্ববোধিনী গোষ্ঠী]]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#বঙ্গদর্শন গোষ্ঠী|বঙ্গদর্শন গোষ্ঠী]]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#ভারতী ও সাধনা গোষ্ঠী|ভারতী ও সাধনা গোষ্ঠী]]
## [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#অবদান|অবদান]]
# [[/রাজা রামমোহন রায়|রাজা রামমোহন রায়]]
## [[/রাজা রামমোহন রায়#রামমোহন রায়ের রচনাবলি|রামমোহন রায়ের রচনাবলি]]
## [[/রাজা রামমোহন রায়#রামমোহন রায়ের গদ্যরীতি|রামমোহন রায়ের গদ্যরীতি]]
## [[/রাজা রামমোহন রায়#গদ্যশিল্পে রামমোহন রায়ের প্রভাব|গদ্যশিল্পে রামমোহন রায়ের প্রভাব]]
# [[/অক্ষয়কুমার দত্ত|অক্ষয়কুমার দত্ত]]
# [[/ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর|ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর]]
## [[/ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর#অনুবাদ সাহিত্য|অনুবাদ সাহিত্য]]
## [[/ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর#মৌলিক রচনা|মৌলিক রচনা]]
## [[/ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর#বিদ্যাসাগরের গদ্যরীতির বৈশিষ্ট্য|বিদ্যাসাগরের গদ্যরীতির বৈশিষ্ট্য]]
## [[/ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর#‘বাংলা গদ্যের জনক’|‘বাংলা গদ্যের জনক’]]
# [[/দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর|দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর]]
# [[/ভূদেব মুখোপাধ্যায়|ভূদেব মুখোপাধ্যায়]]
# [[/রাজনারায়ণ বসু|রাজনারায়ণ বসু]]
# [[/বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রবন্ধসাহিত্য|বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রবন্ধসাহিত্য]]
## [[/বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রবন্ধসাহিত্য#বঙ্কিমচন্দ্রের প্রবন্ধসাহিত্যে বৈচিত্র্য|বৈচিত্র্য]]
## [[/বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রবন্ধসাহিত্য#জ্ঞানচর্চামূলক প্রবন্ধ|জ্ঞানচর্চামূলক প্রবন্ধ]]
## [[/বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রবন্ধসাহিত্য#বিচারমূলক প্রবন্ধ|বিচারমূলক প্রবন্ধ]]
## [[/বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রবন্ধসাহিত্য#রসব্যঞ্জনামূলক প্রবন্ধ|রসব্যঞ্জনামূলক প্রবন্ধ]]
## [[/বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রবন্ধসাহিত্য#প্রবন্ধসাহিত্যে বঙ্কিমচন্দ্রের অবদান|অবদান]]
# [[/বঙ্কিম-সমকালীন প্রাবন্ধিক গোষ্ঠী|বঙ্কিম-সমকালীন প্রাবন্ধিক গোষ্ঠী]]
# [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক বাংলা প্রবন্ধসাহিত্য|রবীন্দ্র-সমসাময়িক প্রবন্ধসাহিত্য]]
## [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক বাংলা প্রবন্ধসাহিত্য#বলেন্দ্রনাথ ঠাকুর|বলেন্দ্রনাথ ঠাকুর]]
## [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক বাংলা প্রবন্ধসাহিত্য#অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর|অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর]]
## [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক বাংলা প্রবন্ধসাহিত্য#রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদী|রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদী]]
## [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক বাংলা প্রবন্ধসাহিত্য#প্রমথ চৌধুরী|প্রমথ চৌধুরী]]
## [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক বাংলা প্রবন্ধসাহিত্য#পাঁচকড়ি বন্দ্যোপাধ্যায়|পাঁচকড়ি বন্দ্যোপাধ্যায়]]
## [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক বাংলা প্রবন্ধসাহিত্য#মোহিতলাল মজুমদার|মোহিতলাল মজুমদার]]
## [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক বাংলা প্রবন্ধসাহিত্য#রবীন্দ্র-পরবর্তীকালের বাংলা প্রবন্ধসাহিত্য|রবীন্দ্র-পরবর্তীকালের বাংলা প্রবন্ধসাহিত্য]]
===পরিশিষ্ট: বাংলা গদ্যসাহিত্য===
# [[/রামমোহন, বিদ্যাসাগর ও অক্ষয়কুমারের অবদান|রামমোহন, বিদ্যাসাগর ও অক্ষয়কুমারের অবদান]]
# [[/বাংলা গদ্যে আলালী ও বিদ্যাসাগরী রীতির বিবর্তন|বাংলা গদ্যে আলালী ও বিদ্যাসাগরী রীতির বিবর্তন]]
# [[/বাংলা গদ্যে চলিত রীতির বিবর্তন|বাংলা গদ্যে চলিত রীতি বিবর্তন]]
# [[/ভূদেব মুখোপাধ্যায় ও বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়|ভূদেব মুখোপাধ্যায় ও বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়]]
=== পর্ব ২: বাংলা উপন্যাস ও ছোটোগল্প ===
# [[/উপন্যাসের সূত্রপাত|বাংলা সাহিত্যে উপন্যাসের সূত্রপাত]]
## [[/উপন্যাসের সূত্রপাত#উপন্যাসের সূত্রপাত|উপন্যাসের সূত্রপাত]]
## [[/উপন্যাসের সূত্রপাত#উপন্যাস রচনার প্রথম প্রচেষ্টা|উপন্যাস রচনার প্রথম প্রচেষ্টা]]
## [[/উপন্যাসের সূত্রপাত#হানা ক্যাথারিন মুলেন্সের ফুলমণি ও করুণার বৃত্তান্ত|হানা ক্যাথারিন মুলেন্সের ''ফুলমণি ও করুণার বৃত্তান্ত'']]
## [[/উপন্যাসের সূত্রপাত#প্যারীচাঁদ মিত্রের আলালের ঘরের দুলাল|প্যারীচাঁদ মিত্রের ''আলালের ঘরের দুলাল'']]
## [[/উপন্যাসের সূত্রপাত#কালীপ্রসন্ন সিংহের হুতোম প্যাঁচার নক্সা|কালীপ্রসন্ন সিংহের ''হুতোম প্যাঁচার নক্সা'']]
## [[/উপন্যাসের সূত্রপাত#রোম্যান্স রচনার সূত্রপাত|রোম্যান্স রচনার সূত্রপাত: ভূদেব মুখোপাধ্যায়, কৃষ্ণকমল ভট্টাচার্য ও গোপীমোহন ঘোষ]]
## [[/উপন্যাসের সূত্রপাত#সূচনা পর্বের উপন্যাসের সাহিত্যমূল্য|সূচনা পর্বের উপন্যাসের সাহিত্যমূল্য]]
# [[/বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের উপন্যাস|বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের উপন্যাস]]
# [[/বঙ্কিম-সমকালীন ঔপন্যাসিক গোষ্ঠী|বঙ্কিম-সমকালীন ঔপন্যাসিক গোষ্ঠী]]
## [[/বঙ্কিম-সমকালীন ঔপন্যাসিক গোষ্ঠী#রমেশচন্দ্র দত্ত|রমেশচন্দ্র দত্ত]]
## [[/বঙ্কিম-সমকালীন ঔপন্যাসিক গোষ্ঠী#সঞ্জীবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়|সঞ্জীবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়]]
## [[/বঙ্কিম-সমকালীন ঔপন্যাসিক গোষ্ঠী#তারকনাথ গঙ্গোপাধ্যায়|তারকনাথ গঙ্গোপাধ্যায়]]
## [[/বঙ্কিম-সমকালীন ঔপন্যাসিক গোষ্ঠী#প্রতাপচন্দ্র ঘোষ|প্রতাপচন্দ্র ঘোষ]]
## [[/বঙ্কিম-সমকালীন ঔপন্যাসিক গোষ্ঠী#স্বর্ণকুমারী দেবী|স্বর্ণকুমারী দেবী]]
## [[/বঙ্কিম-সমকালীন ঔপন্যাসিক গোষ্ঠী#বঙ্কিমযুগের অন্যান্য ঔপন্যাসিক|বঙ্কিমযুগের অন্যান্য ঔপন্যাসিক]]
# [[/বিশ শতকের বাংলা উপন্যাস|বিশ শতকের বাংলা উপন্যাস]]
# [[/প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়ের উপন্যাস|প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়ের উপন্যাস]]
# [[/শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের উপন্যাস|শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের উপন্যাস]]
# [[/শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ছোটোগল্প|শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ছোটোগল্প]]
# [[/বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়|বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়]]
# [[/তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়|তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়]]
# [[/মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়|মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়]]
# [[/বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায়|বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায়]]
# [[/দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী যুগের ছোটোগল্প ও উপন্যাস|দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী যুগের ছোটোগল্প ও উপন্যাস]]
## [[/দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী যুগের ছোটোগল্প ও উপন্যাস#হৃদয়বৃত্তিমূলক কথাসাহিত্য|হৃদয়বৃত্তিমূলক কথাসাহিত্য]]
## [[/দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী যুগের ছোটোগল্প ও উপন্যাস#চিন্তামূলক মননশীল কথাসাহিত্য|চিন্তামূলক মননশীল কথাসাহিত্য]]
## [[/দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী যুগের ছোটোগল্প ও উপন্যাস#বিকৃত-চিন্তামূলক বিদ্রোহাত্মক কথাসাহিত্য|বিকৃত-চিন্তামূলক বিদ্রোহাত্মক কথাসাহিত্য]]
## [[/দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী যুগের ছোটোগল্প ও উপন্যাস#বাস্তববুদ্ধিমূলক মানবিক কথাসাহিত্য|বাস্তববুদ্ধিমূলক মানবিক কথাসাহিত্য]]
## [[/দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী যুগের ছোটোগল্প ও উপন্যাস#কৌতুকরসাত্মক কথাসাহিত্য|কৌতুকরসাত্মক কথাসাহিত্য]]
=== পর্ব ৩: বাংলা নাটক ===
# [[/আধুনিক বাংলা নাটকের উদ্ভব|আধুনিক বাংলা নাটকের উদ্ভব]]
# [[/নাট্যশালার ইতিহাস|বাংলা নাট্যশালার ইতিহাস]]
# [[/সাধারণ রঙ্গালয় প্রতিষ্ঠার পূর্ববর্তী নাটক|সাধারণ রঙ্গালয় প্রতিষ্ঠার পূর্ববর্তী নাটক]]
# [[/রামনারায়ণ তর্করত্ন|রামনারায়ণ তর্করত্ন]]
## [[/রামনারায়ণ তর্করত্ন#কুলীনকুলসর্বস্ব|''কুলীনকুলসর্বস্ব'']]
## [[/রামনারায়ণ তর্করত্ন#অন্যান্য নাটক|অন্যান্য নাটক]]
## [[/রামনারায়ণ তর্করত্ন#মূল্যায়ন|মূল্যায়ন]]
# [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের নাট্যসাহিত্য|মাইকেল মধুসূদন দত্ত]]
## [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের নাট্যসাহিত্য#প্রাক্-মধুসূদন যুগের বাংলা নাটক ও মধুসূদন|প্রাক্-মধুসূদন যুগের বাংলা নাটক ও মধুসূদন]]
## [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের নাট্যসাহিত্য#পৌরাণিক নাটক|পৌরাণিক নাটক]]
### [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের নাট্যসাহিত্য#''শর্মিষ্ঠা''|''শর্মিষ্ঠা'']]
### [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের নাট্যসাহিত্য#''পদ্মাবতী''|''পদ্মাবতী'']]
## [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের নাট্যসাহিত্য#ঐতিহাসিক নাটক: ট্র্যাজেডি|ঐতিহাসিক নাটক: ট্র্যাজেডি]]
### [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের নাট্যসাহিত্য#''কৃষ্ণকুমারী''|''কৃষ্ণকুমারী'']]
## [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের নাট্যসাহিত্য#প্রহসন|প্রহসন: ''একেই কি বলে সভ্যতা'' ও ''বুড়ো শালিকের ঘাড়ে রোঁ'']]
## [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের নাট্যসাহিত্য#প্রহসন|অন্যান্য নাটক: ''মায়াকানন'' ও ''বিষ না ধনুর্গুণ'']]
## [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের নাট্যসাহিত্য#বাংলা নাটকের ইতিহাসে মাইকেল মধুসূদন দত্তের স্থান|বাংলা নাটকের ইতিহাসে মাইকেল মধুসূদন দত্তের স্থান]]
# [[/দীনবন্ধু মিত্র|দীনবন্ধু মিত্র]]
## [[/দীনবন্ধু মিত্র#সামাজিক নাটক|সামাজিক নাটক]]
### [[/দীনবন্ধু মিত্র#নীলদর্পণ|''নীলদর্পণ'']]
#### [[/দীনবন্ধু মিত্র#নীল বিদ্রোহ ও নীলদর্পণ নাটক|নীল বিদ্রোহ ও ''নীলদর্পণ'' নাটক]]
#### [[/দীনবন্ধু মিত্র#নীলদর্পণ নাটকের সংক্ষিপ্ত কাহিনি|''নীলদর্পণ'' নাটকের সংক্ষিপ্ত কাহিনি]]
#### [[/দীনবন্ধু মিত্র#সমালোচনা|সমালোচনা]]
## [[/দীনবন্ধু মিত্র#অন্যান্য নাটক|অন্যান্য নাটক]]
### [[/দীনবন্ধু মিত্র#প্রহসন|প্রহসন]]
#### [[/দীনবন্ধু মিত্র#সধবার একাদশী ও নিমচাঁদ চরিত্র|''সধবার একাদশী'' ও নিমচাঁদ চরিত্র]]
## [[/দীনবন্ধু মিত্র#বাংলা নাট্যসাহিত্যে দীনবন্ধু মিত্রের অবদান|বাংলা নাট্যসাহিত্যে দীনবন্ধু মিত্রের অবদান]]
# [[/মনোমোহন বসু|মনোমোহন বসু]]
# [[/জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর|জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর]]
## [[/জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর#জ্যোতিরিন্দ্রনাথের ঐতিহাসিক নাটক|ঐতিহাসিক নাটক]]
## [[/জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর#জ্যোতিরিন্দ্রনাথের প্রহসন|প্রহসন]]
## [[/জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর#জ্যোতিরিন্দ্রনাথের অনুবাদ নাটক|অনুবাদ নাটক]]
# [[/উপেন্দ্রনাথ দাস|উপেন্দ্রনাথ দাস]]
# [[/রাজকৃষ্ণ রায়|রাজকৃষ্ণ রায়]]
# [[/গিরিশচন্দ্র ঘোষ|গিরিশচন্দ্র ঘোষ]]
# [[/অমৃতলাল বসু|অমৃতলাল বসু]]
# [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়|দ্বিজেন্দ্রলাল রায়]]
## [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#প্রহসন|প্রহসন]]
### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#কল্কি অবতার|''কল্কি অবতার'']]
### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#বিরহ|''বিরহ'']]
### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#ত্র্যহস্পর্শ|''ত্র্যহস্পর্শ'']]
### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#প্রায়শ্চিত্ত|''প্রায়শ্চিত্ত'']]
### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#পুনর্জন্ম|''পুনর্জন্ম'']]
### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#আনন্দবিদায়|''আনন্দবিদায়'']]
## [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#পৌরাণিক নাটক|পৌরাণিক নাটক]]
### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#পাষাণী|''পাষাণী'']]
### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#সীতা|''সীতা'']]
### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#ভীষ্ম|''ভীষ্ম'']]
## [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#সামাজিক নাটক|সামাজিক নাটক]]
### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#পরপারে|''পরপারে'']]
### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#বঙ্গনারী|''বঙ্গনারী'']]
## [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#অপেরা|অপেরা]]
### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#সোরাব-রুস্তম|''সোরাব-রুস্তম'']]
## [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#ঐতিহাসিক নাটক|ঐতিহাসিক নাটক]]
### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#রাজপুত ইতিহাস-নির্ভর ঐতিহাসিক নাটক|রাজপুত ইতিহাস-নির্ভর ঐতিহাসিক নাটক]]
#### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#তারাবাঈ|''তারাবাঈ'']]
#### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#রাণা প্রতাপ সিংহ|''রাণা প্রতাপ সিংহ'']]
#### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#দুর্গাদাস|''দুর্গাদাস'']]
#### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#মেবার পতন|''মেবার পতন'']]
### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#অন্যান্য ঐতিহাসিক নাটক|অন্যান্য ঐতিহাসিক নাটক]]
#### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#নূরজাহান|''নূরজাহান'']]
#### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#সাজাহান|''সাজাহান'']]
#### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#চন্দ্রগুপ্ত|''চন্দ্রগুপ্ত'']]
#### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#সিংহল বিজয়|''সিংহল বিজয়'']]
## [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#দ্বিজেন্দ্রলালের নাটকে সংলাপের ভাষা|দ্বিজেন্দ্রলালের নাটকে সংলাপের ভাষা]]
## [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#মূল্যায়ন|মূল্যায়ন]]
# [[/ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ|ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ]]
## [[/ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ#অপেরা বা গীতিমুখর নাটক|অপেরা বা গীতিমুখর নাটক]]
## [[/ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ#পৌরাণিক নাটক|পৌরাণিক নাটক]]
## [[/ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ#কাল্পনিক নাটক|কাল্পনিক নাটক]]
## [[/ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ#অপেরা বা গীতিমুখর নাটক|অপেরা বা গীতিমুখর নাটক]]
## [[/ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ#ঐতিহাসিক নাটক|ঐতিহাসিক নাটক]]
## [[/ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ#মূল্যায়ন|মূল্যায়ন]]
# [[/বিশ শতকের বাংলা নাটক|বিশ শতকের বাংলা নাটক]]
## [[/বিশ শতকের বাংলা নাটক#অপরেশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়|অপরেশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়]]
## [[/বিশ শতকের বাংলা নাটক#গতানুগতিক ধারার নাট্যকারগণ|গতানুগতিক ধারার নাট্যকারগণ]]
## [[/বিশ শতকের বাংলা নাটক#যোগেশচন্দ্র চৌধুরী|যোগেশচন্দ্র চৌধুরী]]
## [[/বিশ শতকের বাংলা নাটক#মন্মথ রায়|মন্মথ রায়]]
## [[/বিশ শতকের বাংলা নাটক#শচীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত|শচীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত]]
## [[/বিশ শতকের বাংলা নাটক#বিধায়ক ভট্টাচার্য|বিধায়ক ভট্টাচার্য]]
## [[/বিশ শতকের বাংলা নাটক#প্রমথনাথ বিশী|প্রমথনাথ বিশী]]
## [[/বিশ শতকের বাংলা নাটক#জীবনী নাটক|জীবনী নাটক]]
## [[/বিশ শতকের বাংলা নাটক#নবনাট্য আন্দোলন|নবনাট্য আন্দোলন]]
## [[/বিশ শতকের বাংলা নাটক#বিদেশি নাটকের বঙ্গীকরণ|বিদেশি নাটকের বঙ্গীকরণ]]
# [[/পৌরাণিক নাটক|বাংলা পৌরাণিক নাটকের বিকাশ]]
## [[/পৌরাণিক নাটক#প্রথম পর্বের বাংলা পৌরাণিক নাটক|প্রথম পর্ব: হরচন্দ্র ঘোষ, কালীপ্রসন্ন সিংহ, মাইকেল মধুসূদন দত্ত ও রামনারায়ণ তর্করত্ন]]
## [[/পৌরাণিক নাটক#দ্বিতীয় পর্বের বাংলা পৌরাণিক নাটক|দ্বিতীয় পর্ব: মনোমোহন বসু, রাজকৃষ্ণ রায়, অতুলকৃষ্ণ মিত্র ও গিরিশচন্দ্র ঘোষ]]
## [[/পৌরাণিক নাটক#তৃতীয় পর্বের বাংলা পৌরাণিক নাটক|তৃতীয় পর্ব: দ্বিজেন্দ্রলাল রায়, ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ, অপরেশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়, ভূপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, যোগেশচন্দ্র চৌধুরী, মন্মথ রায় ও মহেন্দ্র গুপ্ত]]
## [[/পৌরাণিক নাটক#বাংলা পৌরাণিক নাটকের পরিণতি|পরিণতি]]
# [[/ঐতিহাসিক নাটক|বাংলা ঐতিহাসিক নাটকের বিকাশ]]
# [[/সামাজিক ও পারিবারিক নাটক|বাংলা সামাজিক ও পারিবারিক নাটকের বিকাশ]]
## [[/সামাজিক ও পারিবারিক নাটক#প্রথম পর্বের সামাজিক নাটক|প্রথম পর্বের সামাজিক নাটক: রামনারায়ণ তর্করত্ন, উমেশচন্দ্র মিত্র, দীনবন্ধু মিত্র ও অন্যান্য]]
## [[/সামাজিক ও পারিবারিক নাটক#দ্বিতীয় পর্বের সামাজিক ও পারিবারিক নাটক|দ্বিতীয় পর্বের সামাজিক ও পারিবারিক নাটক: উপেন্দ্রনাথ দাস, গিরিশচন্দ্র ঘোষ, দ্বিজেন্দ্রলাল রায় ও অন্যান্য]]
## [[/সামাজিক ও পারিবারিক নাটক#তৃতীয় পর্বের পারিবারিক নাটক|তৃতীয় পর্বের পারিবারিক নাটক: শচীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত, জলধর চট্টোপাধ্যায়, মহেন্দ্র গুপ্ত ও বিধায়ক ভট্টাচার্য]]
## [[/সামাজিক ও পারিবারিক নাটক#চতুর্থ পর্বের আধুনিক সমাজ-সচেতন নাটক|চতুর্থ পর্বের আধুনিক সমাজ-সচেতন নাটক: বিজন ভট্টাচার্য, তুলসী লাহিড়ী, সলিল সেন ও অন্যান্য]]
# [[/প্রহসন|বাংলা প্রহসনের বিকাশ]]
## [[/প্রহসন#প্রথম পর্বের প্রহসন: রামনারায়ণ তর্করত্ন, কালীপ্রসন্ন সিংহ, মাইকেল মধুসূদন দত্ত, দীনবন্ধু মিত্র ও জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর|প্রথম পর্বের প্রহসন: রামনারায়ণ তর্করত্ন, কালীপ্রসন্ন সিংহ, মাইকেল মধুসূদন দত্ত, দীনবন্ধু মিত্র ও জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর]]
## [[/প্রহসন#দ্বিতীয় পর্বের প্রহসন: গিরিশচন্দ্র ঘোষ, অমৃতলাল বসু, দ্বিজেন্দ্রলাল রায়, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর|দ্বিতীয় পর্বের প্রহসন: গিরিশচন্দ্র ঘোষ, অমৃতলাল বসু, দ্বিজেন্দ্রলাল রায়, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর]]
## [[/প্রহসন#তৃতীয় পর্বের প্রহসন: রবীন্দ্রনাথ মৈত্র, প্রমথনাথ বিশী, বিধায়ক ভট্টাচার্য প্রমুখ|তৃতীয় পর্বের প্রহসন: রবীন্দ্রনাথ মৈত্র, প্রমথনাথ বিশী, বিধায়ক ভট্টাচার্য প্রমুখ]]
=== পর্ব ৪: আধুনিক বাংলা কাব্যসাহিত্য ===
# [[/কবিওয়ালা|কবিওয়ালা]]
# [[/ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত|ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত]]
# [[/মদনমোহন তর্কালঙ্কার|মদনমোহন তর্কালঙ্কার]]
# [[/উনিশ শতকের মহাকাব্য ও আখ্যানকাব্য|উনিশ শতকের বাংলা মহাকাব্য ও আখ্যানকাব্য]]
## [[/উনিশ শতকের মহাকাব্য ও আখ্যানকাব্য#আখ্যানকাব্যের বৈশিষ্ট্য|আখ্যানকাব্যের বৈশিষ্ট্য]]
## [[/উনিশ শতকের মহাকাব্য ও আখ্যানকাব্য#মহাকাব্যের বৈশিষ্ট্য|মহাকাব্যের বৈশিষ্ট্য]]
### [[/উনিশ শতকের মহাকাব্য ও আখ্যানকাব্য#মাইকেল মধুসূদন দত্তের মহাকাব্য|মাইকেল মধুসূদন দত্তের মহাকাব্য]]
### [[/উনিশ শতকের মহাকাব্য ও আখ্যানকাব্য#হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের মহাকাব্য ও আখ্যানকাব্য|হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের মহাকাব্য ও আখ্যানকাব্য]]
### [[/উনিশ শতকের মহাকাব্য ও আখ্যানকাব্য#নবীনচন্দ্র সেনের মহাকাব্য ও আখ্যানকাব্য|নবীনচন্দ্র সেনের মহাকাব্য ও আখ্যানকাব্য]]
## [[/উনিশ শতকের মহাকাব্য ও আখ্যানকাব্য#বাংলা মহাকাব্যের পরিণতি|বাংলা মহাকাব্যের পরিণতি]]
## [[/উনিশ শতকের মহাকাব্য ও আখ্যানকাব্য#বাংলা আখ্যানকাব্যের পরিণতি|বাংলা আখ্যানকাব্যের পরিণতি]]
# [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের কাব্যসাহিত্য|মাইকেল মধুসূদন দত্ত]]
## [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের কাব্যসাহিত্য#কাব্যসাহিত্য|কাব্যসাহিত্য]]
### [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের কাব্যসাহিত্য#তিলোত্তমাসম্ভব কাব্য|''তিলোত্তমাসম্ভব কাব্য'']]
### [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের কাব্যসাহিত্য#মেঘনাদবধ কাব্য|''মেঘনাদবধ কাব্য'']]
### [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের কাব্যসাহিত্য#ব্রজাঙ্গনা কাব্য|''ব্রজাঙ্গনা কাব্য'']]
### [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের কাব্যসাহিত্য#বীরাঙ্গনা কাব্য|''বীরাঙ্গনা কাব্য'']]
### [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের কাব্যসাহিত্য#চতুর্দশপদী কবিতাবলী|''চতুর্দশপদী কবিতাবলী'']]
## [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের কাব্যসাহিত্য#মূল্যায়ন|মূল্যায়ন]]
# [[/হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়|হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়]]
# [[/নবীনচন্দ্র সেন|নবীনচন্দ্র সেন]]
# [[/বিহারীলাল চক্রবর্তী|বিহারীলাল চক্রবর্তী]]
## [[/বিহারীলাল চক্রবর্তী#রচনাবলি|রচনাবলি]]
## [[/বিহারীলাল চক্রবর্তী#কবিপ্রতিভার বৈশিষ্ট্য|কবিপ্রতিভার বৈশিষ্ট্য]]
## [[/বিহারীলাল চক্রবর্তী#শৈল্পিক ত্রুটি|শৈল্পিক ত্রুটি]]
## [[/বিহারীলাল চক্রবর্তী#বিশুদ্ধ গীতিকবিতার জনক বিহারীলাল|বিশুদ্ধ গীতিকবিতার জনক বিহারীলাল]]
# [[/আখ্যানকাব্য ও গীতিকাব্যের ধারা ও পরিণাম|বাংলা আখ্যানকাব্য ও গীতিকাব্যের ধারা ও পরিণাম]]
# [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক কবিগণ|রবীন্দ্র-সমসাময়িক কবিগণ]]
## [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক কবিগণ#রবীন্দ্র-পরিমণ্ডলের অন্তর্ভুক্ত কবিগণ|রবীন্দ্র-পরিমণ্ডলের অন্তর্ভুক্ত কবিগণ]]
## [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক কবিগণ#রবীন্দ্র-প্রভাবিক কবিগোষ্ঠী|রবীন্দ্র-প্রভাবিক কবিগোষ্ঠী]]
### [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক কবিগণ#দ্বিজেন্দ্রলাল রায়|দ্বিজেন্দ্রলাল রায়]]
### [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক কবিগণ#সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত|সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত]]
### [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক কবিগণ#করুণানিধন বন্দ্যোপাধ্যায়|করুণানিধন বন্দ্যোপাধ্যায়]]
### [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক কবিগণ#যতীন্দ্রমোহন বাগচি|যতীন্দ্রমোহন বাগচি]]
### [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক কবিগণ#কুমুদরঞ্জন মল্লিক, কালিদাস রায় ও কিরণধন চট্টোপাধ্যায়|কুমুদরঞ্জন মল্লিক, কালিদাস রায় ও কিরণধন চট্টোপাধ্যায়]]
## [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক কবিগণ#রবীন্দ্রবিরোধী কবিগোষ্ঠী|রবীন্দ্রবিরোধী কবিগোষ্ঠী]]
### [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক কবিগণ#মোহিতলাল মজুমদার|মোহিতলাল মজুমদার]]
### [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক কবিগণ#যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত|যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত]]
### [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক কবিগণ#কাজী নজরুল ইসলাম|কাজী নজরুল ইসলাম]]
# [[/উনিশ শতকের মহিলা কবিগণ|উনিশ শতকের মহিলা কবিগণ]]
## [[/উনিশ শতকের মহিলা কবিগণ#মোক্ষদায়িনী মুখোপাধ্যায়|মোক্ষদায়িনী মুখোপাধ্যায়]]
## [[/উনিশ শতকের মহিলা কবিগণ#স্বর্ণকুমারী দেবী|স্বর্ণকুমারী দেবী]]
## [[/উনিশ শতকের মহিলা কবিগণ#গিরীন্দ্রমোহিনী দাসী|গিরীন্দ্রমোহিনী দাসী]]
## [[/উনিশ শতকের মহিলা কবিগণ#মানকুমারী বসু|মানকুমারী বসু]]
## [[/উনিশ শতকের মহিলা কবিগণ#কামিনী রায়|কামিনী রায়]]
## [[/উনিশ শতকের মহিলা কবিগণ#সরোজকুমারী দেবী|সরোজকুমারী দেবী]]
## [[/উনিশ শতকের মহিলা কবিগণ#অন্যান্য মহিলা কবিগণ|অন্যান্য মহিলা কবিগণ]]
# [[/রবীন্দ্র-পরবর্তী বাংলা কবিতা|রবীন্দ্র-পরবর্তী বাংলা কবিতা]]
## [[/রবীন্দ্র-পরবর্তী বাংলা কবিতা#বুদ্ধদেব বসু|বুদ্ধদেব বসু]]
## [[/রবীন্দ্র-পরবর্তী বাংলা কবিতা#জীবনানন্দ দাশ|জীবনানন্দ দাশ]]
## [[/রবীন্দ্র-পরবর্তী বাংলা কবিতা#অজিত দত্ত|অজিত দত্ত]]
## [[/রবীন্দ্র-পরবর্তী বাংলা কবিতা#সুধীন্দ্রনাথ দত্ত|সুধীন্দ্রনাথ দত্ত]]
## [[/রবীন্দ্র-পরবর্তী বাংলা কবিতা#বিষ্ণু দে|বিষ্ণু দে]]
## [[/রবীন্দ্র-পরবর্তী বাংলা কবিতা#প্রেমেন্দ্র মিত্র|প্রেমেন্দ্র মিত্র]]
## [[/রবীন্দ্র-পরবর্তী বাংলা কবিতা#অমিয় চক্রবর্তী|অমিয় চক্রবর্তী]]
## [[/রবীন্দ্র-পরবর্তী বাংলা কবিতা#সমর সেন|সমর সেন]]
## [[/রবীন্দ্র-পরবর্তী বাংলা কবিতা#সুকান্ত ভট্টাচার্য|সুকান্ত ভট্টাচার্য]]
## [[/রবীন্দ্র-পরবর্তী বাংলা কবিতা#অন্যান্য কবিগণ|অন্যান্য কবিগণ]]
=== পর্ব ৫: রবীন্দ্রসাহিত্য ===
# [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতা|কবিতা]]
# [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক|নাটক]]
## [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#রবীন্দ্রনাথের গীতিনাট্য: বাল্মীকিপ্রতিভা, কালমৃগয়া ও মায়ার খেলা|রবীন্দ্রনাথের গীতিনাট্য: ''বাল্মীকিপ্রতিভা'', ''কালমৃগয়া'' ও ''মায়ার খেলা'']]
## [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#রবীন্দ্রনাথের কাব্যনাট্য|কাব্যনাট্য]]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#প্রকৃতির প্রতিশোধ|''প্রকৃতির প্রতিশোধ'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#চিত্রাঙ্গদা|''চিত্রাঙ্গদা'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#বিদায় অভিশাপ|''বিদায় অভিশাপ'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#কাহিনী গ্রন্থের কাব্যনাট্যসমূহ|''কাহিনী'' গ্রন্থের কাব্যনাট্যসমূহ: "গান্ধারীর আবেদন", "সতী", "নরকবাস", "লক্ষ্মীর পরীক্ষা" ও "কর্ণকুন্তীসংবাদ"]]
## [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#রবীন্দ্রনাথের প্রথানুগ নাটক|প্রথানুগ নাটক]]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#রাজা ও রানী ও তপতী|''রাজা ও রানী'' ও ''তপতী'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#বিসর্জন|''বিসর্জন'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#মালিনী|''মালিনী'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#প্রায়শ্চিত্ত ও পরিত্রাণ|''প্রায়শ্চিত্ত'' ও ''পরিত্রাণ'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#রবীন্দ্রনাথের পারিবারিক নাটক: গৃহপ্রবেশ ও শোধবোধ|রবীন্দ্রনাথের পারিবারিক নাটক: ''গৃহপ্রবেশ'' ও ''শোধবোধ'']]
## [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#রবীন্দ্রনাথের প্রহসন বা কৌতুকনাট্য|প্রহসন বা কৌতুকনাট্য]]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#গোড়ায় গলদ ও শেষরক্ষা|''গোড়ায় গলদ'' ও ''শেষরক্ষা'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#বৈকুণ্ঠের খাতা|''বৈকুণ্ঠের খাতা'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#হাস্যকৌতুক ও ব্যঙ্গকৌতুক|''হাস্যকৌতুক'' ও ''ব্যঙ্গকৌতুক'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#চিরকুমার সভা|''চিরকুমার সভা'']]
## [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#রবীন্দ্রনাথের রূপক-সাংকেতিক নাটক|রূপক-সাংকেতিক নাটক]]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#শারদোৎসব ও ঋণশোধ|''শারদোৎসব'' ও ''ঋণশোধ'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#রাজা ও অরূপরতন|''রাজা'' ও ''অরূপরতন'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#অচলায়তন ও গুরু|''অচলায়তন'' ও ''গুরু'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#ডাকঘর|''ডাকঘর'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#ফাল্গুনী|''ফাল্গুনী'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#মুক্তধারা|''মুক্তধারা'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#রক্তকরবী|''রক্তকরবী'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#রথের রশি ও তাসের দেশ|''রথের রশি'' ও ''তাসের দেশ'']]
# [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উপন্যাস|উপন্যাস]]
# [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছোটোগল্প|ছোটোগল্প]]
# [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রবন্ধসাহিত্য|প্রবন্ধসাহিত্য]]
## [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রবন্ধসাহিত্য#প্রবন্ধসাহিত্যের শ্রেণিবিভাগ|প্রবন্ধসাহিত্যের শ্রেণিবিভাগ]]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রবন্ধসাহিত্য#প্রবন্ধসাহিত্যের শ্রেণিবিভাগ|প্রবন্ধসাহিত্যের শ্রেণিবিভাগ]]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রবন্ধসাহিত্য#সমালোচনা, সাহিত্যতত্ত্ব ও সাহিত্য আলোচনা-বিষয়ক প্রবন্ধ|সমালোচনা, সাহিত্যতত্ত্ব ও সাহিত্য আলোচনা-বিষয়ক প্রবন্ধ]]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রবন্ধসাহিত্য#শিক্ষা, সমাজ ও রাজনীতি-বিষয়ক প্রবন্ধ|শিক্ষা, সমাজ ও রাজনীতি-বিষয়ক প্রবন্ধ]]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রবন্ধসাহিত্য#ধর্ম, দর্শন ও অধ্যাত্ম-বিষয়ক প্রবন্ধ|ধর্ম, দর্শন ও অধ্যাত্ম-বিষয়ক প্রবন্ধ]]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রবন্ধসাহিত্য#ভ্রমণসাহিত্য|ভ্রমণসাহিত্য]]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রবন্ধসাহিত্য#পত্রসাহিত্য|পত্রসাহিত্য]]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রবন্ধসাহিত্য#আত্মকথা ও জীবনী|আত্মকথা ও জীবনী]]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রবন্ধসাহিত্য#আবেগধর্মী প্রবন্ধ|আবেগধর্মী প্রবন্ধ]]
## [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রবন্ধসাহিত্য#মূল্যায়ন|মূল্যায়ন]]
# [[/রবীন্দ্রসংগীত|রবীন্দ্রসংগীত]]
{{বিষয়|বাংলা সাহিত্য}}
{{বর্ণানুক্রমিক|আ}}
{{বিষয়|সাহিত্য}}
{{বইয়ের বিষয়শ্রেণী}}
s21vpkm1ox73p35lm72mic0eblkfo1j
84429
84427
2025-06-16T17:52:39Z
Jonoikobangali
676
/* পর্ব ৩: বাংলা নাটক */
84429
wikitext
text/x-wiki
{{অবস্থা|৫০%}}<p align=center><font size=7 color="DarkBlue"><b>আধুনিক বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস</b></font></p>
==সূচিপত্র==
=== ভূমিকা ===
# [[/আধুনিক যুগের সূত্রপাত|বাংলা সাহিত্যে আধুনিক যুগের সূত্রপাত]]
## [[/আধুনিক যুগের সূত্রপাত#আধুনিকতার লক্ষণ|আধুনিকতার লক্ষণ]]
### [[/আধুনিক যুগের সূত্রপাত#মানবতাবোধ|মানবতাবোধ]]
### [[/আধুনিক যুগের সূত্রপাত#জাতীয়তাবোধ|জাতীয়তাবোধ]]
### [[/আধুনিক যুগের সূত্রপাত#বৈজ্ঞানিক চেতনা ও যুক্তিবাদ|বৈজ্ঞানিক চেতনা ও যুক্তিবাদ]]
## [[/আধুনিক যুগের সূত্রপাত#আধুনিক সাহিত্যের বিকাশ|আধুনিক সাহিত্যের বিকাশ]]
### [[/আধুনিক যুগের সূত্রপাত#গদ্যসাহিত্য|গদ্যসাহিত্য]]
### [[/আধুনিক যুগের সূত্রপাত#কথাসাহিত্য|কথাসাহিত্য]]
### [[/আধুনিক যুগের সূত্রপাত#কাব্যসাহিত্য|কাব্যসাহিত্য]]
### [[/আধুনিক যুগের সূত্রপাত#নাট্যসাহিত্য|নাট্যসাহিত্য]]
## [[/আধুনিক যুগের সূত্রপাত#মূল্যায়ন|মূল্যায়ন]]
=== পর্ব ১: বাংলা গদ্যসাহিত্য ===
# [[/গদ্যসাহিত্যের সূত্রপাত|বাংলা গদ্যসাহিত্যের সূত্রপাত (উনিশ শতকের পূর্ববর্তী বাংলা গদ্যসাহিত্য)]]
## [[/গদ্যসাহিত্যের সূত্রপাত#কোচবিহারের রাজার চিঠি ও অন্যান্য দলিল|কোচবিহারের রাজার চিঠি ও অন্যান্য দলিল]]
## [[/গদ্যসাহিত্যের সূত্রপাত#বৈষ্ণব নিবন্ধে গদ্য|বৈষ্ণব নিবন্ধে গদ্য]]
## [[/গদ্যসাহিত্যের সূত্রপাত#দোমিঙ্গো দে সোসা|দোমিঙ্গো দে সোসা]]
## [[/গদ্যসাহিত্যের সূত্রপাত#দোম আন্তোনিও দে রোজারিও: ব্রাহ্মণ-রোমান-ক্যাথলিক-সংবাদ|দোম আন্তোনিও দে রোজারিও: ''ব্রাহ্মণ-রোমান-ক্যাথলিক-সংবাদ'']]
## [[/গদ্যসাহিত্যের সূত্রপাত#মানোএল দ্য আস্মুম্পসাঁউ: কৃপার শাস্ত্রের অর্থভেদ|মানোএল দ্য আস্মুম্পসাঁউ: ''কৃপার শাস্ত্রের অর্থভেদ'']]
## [[/গদ্যসাহিত্যের সূত্রপাত#অন্যান্য নিদর্শন|অন্যান্য নিদর্শন]]
## [[/গদ্যসাহিত্যের সূত্রপাত#দেশীয় লেখকদের কৃতিত্ব|দেশীয় লেখকদের কৃতিত্ব]]
# [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ|শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ]]
## [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ#শ্রীরামপুর ব্যাপটিস্ট মিশন|শ্রীরামপুর ব্যাপটিস্ট মিশন]]
### [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ#শ্রীরামপুর ব্যাপটিস্ট মিশন প্রতিষ্ঠা|শ্রীরামপুর ব্যাপটিস্ট মিশন প্রতিষ্ঠা]]
### [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ#বাইবেল অনুবাদ|বাইবেল অনুবাদ]]
### [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ#ছাপাখানা প্রতিষ্ঠা ও সাময়িকপত্র|ছাপাখানা প্রতিষ্ঠা ও সাময়িকপত্র]]
### [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ#মিশনারিদের রচনার বৈশিষ্ট্য|মিশনারিদের রচনার বৈশিষ্ট্য]]
## [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ#ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ|ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ]]
### [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ#ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের প্রতিষ্ঠা|ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের প্রতিষ্ঠা]]
### [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ#পণ্ডিত-মুন্সিদের রচনা|পণ্ডিত-মুন্সিদের রচনা]]
#### [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ#উইলিয়াম কেরি|উইলিয়াম কেরি]]
#### [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ#রামরাম বসু|রামরাম বসু]]
#### [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ#মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার|মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার]]
#### [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ#অন্যান্য লেখকবর্গ|অন্যান্য লেখকবর্গ]]
### [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ#পণ্ডিত-মুন্সিদের গদ্যের রচনার বৈশিষ্ট্য|পণ্ডিত-মুন্সিদের গদ্যের রচনার বৈশিষ্ট্য]]
## [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ#মিশনারি ও কলেজের পণ্ডিত-মুন্সিদের গদ্যচর্চার তুলনা|মিশনারি ও কলেজের পণ্ডিত-মুন্সিদের গদ্যচর্চার তুলনা]]
# [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র|উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র]]
## [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#সংবাদপত্রের সূচনা|সংবাদপত্রের সূচনা]]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#দিগ্দর্শন|দিগ্দর্শন]]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#সমাচার-দর্পণ|সমাচার-দর্পণ]]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#গঙ্গাকিশোর ভট্টাচার্যের বেঙ্গল গেজেট|গঙ্গাকিশোর ভট্টাচার্যের ''বেঙ্গল গেজেট'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#সম্বাদ কৌমুদী|''সম্বাদ কৌমুদী'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#সমাচার-চন্দ্রিকা|''সমাচার-চন্দ্রিকা'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#সংবাদ প্রভাকর|''সংবাদ প্রভাকর'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা|''তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#উনিশ শতকের প্রথমার্ধের অন্যান্য পত্রপত্রিকা|উনিশ শতকের প্রথমার্ধের অন্যান্য পত্রপত্রিকা]]
## [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#উনিশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধের পত্রপত্রিকা|উনিশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধের পত্রপত্রিকা]]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#বিবিধার্থ সংগ্রহ|''বিবিধার্থ সংগ্রহ'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#মাসিক পত্রিকা|''মাসিক পত্রিকা'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#এডুকেশন গেজেট|''এডুকেশন গেজেট'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#সোমপ্রকাশ|''সোমপ্রকাশ'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#রহস্য-সন্দর্ভ|''রহস্য-সন্দর্ভ'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#অবোধবন্ধু|''অবোধবন্ধু'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#বঙ্গদর্শন|''বঙ্গদর্শন'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#প্রচার|''প্রচার'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#নবজীবন|''নবজীবন'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#ভারতী|''ভারতী'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#বালক|''বালক'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#সাধনা|''সাধনা'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#বঙ্গবাসী|''বঙ্গবাসী'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#হিতবাদী|''হিতবাদী'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#জন্মভূমি|''জন্মভূমি'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#বামাবোধিনী|''বামাবোধিনী'']]
## [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#পত্রিকাকেন্দ্রিক লেখকগোষ্ঠী|পত্রিকাকেন্দ্রিক লেখকগোষ্ঠী]]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#তত্ত্ববোধিনী গোষ্ঠী|তত্ত্ববোধিনী গোষ্ঠী]]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#বঙ্গদর্শন গোষ্ঠী|বঙ্গদর্শন গোষ্ঠী]]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#ভারতী ও সাধনা গোষ্ঠী|ভারতী ও সাধনা গোষ্ঠী]]
## [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#অবদান|অবদান]]
# [[/রাজা রামমোহন রায়|রাজা রামমোহন রায়]]
## [[/রাজা রামমোহন রায়#রামমোহন রায়ের রচনাবলি|রামমোহন রায়ের রচনাবলি]]
## [[/রাজা রামমোহন রায়#রামমোহন রায়ের গদ্যরীতি|রামমোহন রায়ের গদ্যরীতি]]
## [[/রাজা রামমোহন রায়#গদ্যশিল্পে রামমোহন রায়ের প্রভাব|গদ্যশিল্পে রামমোহন রায়ের প্রভাব]]
# [[/অক্ষয়কুমার দত্ত|অক্ষয়কুমার দত্ত]]
# [[/ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর|ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর]]
## [[/ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর#অনুবাদ সাহিত্য|অনুবাদ সাহিত্য]]
## [[/ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর#মৌলিক রচনা|মৌলিক রচনা]]
## [[/ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর#বিদ্যাসাগরের গদ্যরীতির বৈশিষ্ট্য|বিদ্যাসাগরের গদ্যরীতির বৈশিষ্ট্য]]
## [[/ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর#‘বাংলা গদ্যের জনক’|‘বাংলা গদ্যের জনক’]]
# [[/দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর|দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর]]
# [[/ভূদেব মুখোপাধ্যায়|ভূদেব মুখোপাধ্যায়]]
# [[/রাজনারায়ণ বসু|রাজনারায়ণ বসু]]
# [[/বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রবন্ধসাহিত্য|বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রবন্ধসাহিত্য]]
## [[/বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রবন্ধসাহিত্য#বঙ্কিমচন্দ্রের প্রবন্ধসাহিত্যে বৈচিত্র্য|বৈচিত্র্য]]
## [[/বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রবন্ধসাহিত্য#জ্ঞানচর্চামূলক প্রবন্ধ|জ্ঞানচর্চামূলক প্রবন্ধ]]
## [[/বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রবন্ধসাহিত্য#বিচারমূলক প্রবন্ধ|বিচারমূলক প্রবন্ধ]]
## [[/বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রবন্ধসাহিত্য#রসব্যঞ্জনামূলক প্রবন্ধ|রসব্যঞ্জনামূলক প্রবন্ধ]]
## [[/বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রবন্ধসাহিত্য#প্রবন্ধসাহিত্যে বঙ্কিমচন্দ্রের অবদান|অবদান]]
# [[/বঙ্কিম-সমকালীন প্রাবন্ধিক গোষ্ঠী|বঙ্কিম-সমকালীন প্রাবন্ধিক গোষ্ঠী]]
# [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক বাংলা প্রবন্ধসাহিত্য|রবীন্দ্র-সমসাময়িক প্রবন্ধসাহিত্য]]
## [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক বাংলা প্রবন্ধসাহিত্য#বলেন্দ্রনাথ ঠাকুর|বলেন্দ্রনাথ ঠাকুর]]
## [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক বাংলা প্রবন্ধসাহিত্য#অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর|অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর]]
## [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক বাংলা প্রবন্ধসাহিত্য#রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদী|রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদী]]
## [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক বাংলা প্রবন্ধসাহিত্য#প্রমথ চৌধুরী|প্রমথ চৌধুরী]]
## [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক বাংলা প্রবন্ধসাহিত্য#পাঁচকড়ি বন্দ্যোপাধ্যায়|পাঁচকড়ি বন্দ্যোপাধ্যায়]]
## [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক বাংলা প্রবন্ধসাহিত্য#মোহিতলাল মজুমদার|মোহিতলাল মজুমদার]]
## [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক বাংলা প্রবন্ধসাহিত্য#রবীন্দ্র-পরবর্তীকালের বাংলা প্রবন্ধসাহিত্য|রবীন্দ্র-পরবর্তীকালের বাংলা প্রবন্ধসাহিত্য]]
===পরিশিষ্ট: বাংলা গদ্যসাহিত্য===
# [[/রামমোহন, বিদ্যাসাগর ও অক্ষয়কুমারের অবদান|রামমোহন, বিদ্যাসাগর ও অক্ষয়কুমারের অবদান]]
# [[/বাংলা গদ্যে আলালী ও বিদ্যাসাগরী রীতির বিবর্তন|বাংলা গদ্যে আলালী ও বিদ্যাসাগরী রীতির বিবর্তন]]
# [[/বাংলা গদ্যে চলিত রীতির বিবর্তন|বাংলা গদ্যে চলিত রীতি বিবর্তন]]
# [[/ভূদেব মুখোপাধ্যায় ও বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়|ভূদেব মুখোপাধ্যায় ও বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়]]
=== পর্ব ২: বাংলা উপন্যাস ও ছোটোগল্প ===
# [[/উপন্যাসের সূত্রপাত|বাংলা সাহিত্যে উপন্যাসের সূত্রপাত]]
## [[/উপন্যাসের সূত্রপাত#উপন্যাসের সূত্রপাত|উপন্যাসের সূত্রপাত]]
## [[/উপন্যাসের সূত্রপাত#উপন্যাস রচনার প্রথম প্রচেষ্টা|উপন্যাস রচনার প্রথম প্রচেষ্টা]]
## [[/উপন্যাসের সূত্রপাত#হানা ক্যাথারিন মুলেন্সের ফুলমণি ও করুণার বৃত্তান্ত|হানা ক্যাথারিন মুলেন্সের ''ফুলমণি ও করুণার বৃত্তান্ত'']]
## [[/উপন্যাসের সূত্রপাত#প্যারীচাঁদ মিত্রের আলালের ঘরের দুলাল|প্যারীচাঁদ মিত্রের ''আলালের ঘরের দুলাল'']]
## [[/উপন্যাসের সূত্রপাত#কালীপ্রসন্ন সিংহের হুতোম প্যাঁচার নক্সা|কালীপ্রসন্ন সিংহের ''হুতোম প্যাঁচার নক্সা'']]
## [[/উপন্যাসের সূত্রপাত#রোম্যান্স রচনার সূত্রপাত|রোম্যান্স রচনার সূত্রপাত: ভূদেব মুখোপাধ্যায়, কৃষ্ণকমল ভট্টাচার্য ও গোপীমোহন ঘোষ]]
## [[/উপন্যাসের সূত্রপাত#সূচনা পর্বের উপন্যাসের সাহিত্যমূল্য|সূচনা পর্বের উপন্যাসের সাহিত্যমূল্য]]
# [[/বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের উপন্যাস|বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের উপন্যাস]]
# [[/বঙ্কিম-সমকালীন ঔপন্যাসিক গোষ্ঠী|বঙ্কিম-সমকালীন ঔপন্যাসিক গোষ্ঠী]]
## [[/বঙ্কিম-সমকালীন ঔপন্যাসিক গোষ্ঠী#রমেশচন্দ্র দত্ত|রমেশচন্দ্র দত্ত]]
## [[/বঙ্কিম-সমকালীন ঔপন্যাসিক গোষ্ঠী#সঞ্জীবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়|সঞ্জীবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়]]
## [[/বঙ্কিম-সমকালীন ঔপন্যাসিক গোষ্ঠী#তারকনাথ গঙ্গোপাধ্যায়|তারকনাথ গঙ্গোপাধ্যায়]]
## [[/বঙ্কিম-সমকালীন ঔপন্যাসিক গোষ্ঠী#প্রতাপচন্দ্র ঘোষ|প্রতাপচন্দ্র ঘোষ]]
## [[/বঙ্কিম-সমকালীন ঔপন্যাসিক গোষ্ঠী#স্বর্ণকুমারী দেবী|স্বর্ণকুমারী দেবী]]
## [[/বঙ্কিম-সমকালীন ঔপন্যাসিক গোষ্ঠী#বঙ্কিমযুগের অন্যান্য ঔপন্যাসিক|বঙ্কিমযুগের অন্যান্য ঔপন্যাসিক]]
# [[/বিশ শতকের বাংলা উপন্যাস|বিশ শতকের বাংলা উপন্যাস]]
# [[/প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়ের উপন্যাস|প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়ের উপন্যাস]]
# [[/শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের উপন্যাস|শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের উপন্যাস]]
# [[/শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ছোটোগল্প|শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ছোটোগল্প]]
# [[/বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়|বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়]]
# [[/তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়|তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়]]
# [[/মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়|মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়]]
# [[/বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায়|বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায়]]
# [[/দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী যুগের ছোটোগল্প ও উপন্যাস|দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী যুগের ছোটোগল্প ও উপন্যাস]]
## [[/দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী যুগের ছোটোগল্প ও উপন্যাস#হৃদয়বৃত্তিমূলক কথাসাহিত্য|হৃদয়বৃত্তিমূলক কথাসাহিত্য]]
## [[/দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী যুগের ছোটোগল্প ও উপন্যাস#চিন্তামূলক মননশীল কথাসাহিত্য|চিন্তামূলক মননশীল কথাসাহিত্য]]
## [[/দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী যুগের ছোটোগল্প ও উপন্যাস#বিকৃত-চিন্তামূলক বিদ্রোহাত্মক কথাসাহিত্য|বিকৃত-চিন্তামূলক বিদ্রোহাত্মক কথাসাহিত্য]]
## [[/দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী যুগের ছোটোগল্প ও উপন্যাস#বাস্তববুদ্ধিমূলক মানবিক কথাসাহিত্য|বাস্তববুদ্ধিমূলক মানবিক কথাসাহিত্য]]
## [[/দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী যুগের ছোটোগল্প ও উপন্যাস#কৌতুকরসাত্মক কথাসাহিত্য|কৌতুকরসাত্মক কথাসাহিত্য]]
=== পর্ব ৩: বাংলা নাটক ===
# [[/আধুনিক বাংলা নাটকের উদ্ভব|আধুনিক বাংলা নাটকের উদ্ভব]]
## [[/আধুনিক বাংলা নাটকের উদ্ভব#যাত্রার আদিরূপ|যাত্রার আদিরূপ]]
## [[/আধুনিক বাংলা নাটকের উদ্ভব#মধ্যযুগে নাট্যরস পরিবেশনের প্রয়াস|মধ্যযুগে নাট্যরস পরিবেশনের প্রয়াস]]
## [[/আধুনিক বাংলা নাটকের উদ্ভব#যাত্রা|যাত্রা]]
## [[/আধুনিক বাংলা নাটকের উদ্ভব#নতুন যাত্রাপদ্ধতি ও গীতাভিনয়|নতুন যাত্রাপদ্ধতি ও গীতাভিনয়]]
## [[/আধুনিক বাংলা নাটকের উদ্ভব#যাত্রাপালা এবং মির্যাকল প্লে ও মর্যালিটি প্লে|যাত্রাপালা এবং মির্যাকল প্লে ও মর্যালিটি প্লে]]
## [[/আধুনিক বাংলা নাটকের উদ্ভব#ইংরেজি নাট্যশালার আদর্শ ও বাংলা নাটক|ইংরেজি নাট্যশালার আদর্শ ও বাংলা নাটক]]
# [[/নাট্যশালার ইতিহাস|বাংলা নাট্যশালার ইতিহাস]]
# [[/সাধারণ রঙ্গালয় প্রতিষ্ঠার পূর্ববর্তী নাটক|সাধারণ রঙ্গালয় প্রতিষ্ঠার পূর্ববর্তী নাটক]]
# [[/রামনারায়ণ তর্করত্ন|রামনারায়ণ তর্করত্ন]]
## [[/রামনারায়ণ তর্করত্ন#কুলীনকুলসর্বস্ব|''কুলীনকুলসর্বস্ব'']]
## [[/রামনারায়ণ তর্করত্ন#অন্যান্য নাটক|অন্যান্য নাটক]]
## [[/রামনারায়ণ তর্করত্ন#মূল্যায়ন|মূল্যায়ন]]
# [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের নাট্যসাহিত্য|মাইকেল মধুসূদন দত্ত]]
## [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের নাট্যসাহিত্য#প্রাক্-মধুসূদন যুগের বাংলা নাটক ও মধুসূদন|প্রাক্-মধুসূদন যুগের বাংলা নাটক ও মধুসূদন]]
## [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের নাট্যসাহিত্য#পৌরাণিক নাটক|পৌরাণিক নাটক]]
### [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের নাট্যসাহিত্য#''শর্মিষ্ঠা''|''শর্মিষ্ঠা'']]
### [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের নাট্যসাহিত্য#''পদ্মাবতী''|''পদ্মাবতী'']]
## [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের নাট্যসাহিত্য#ঐতিহাসিক নাটক: ট্র্যাজেডি|ঐতিহাসিক নাটক: ট্র্যাজেডি]]
### [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের নাট্যসাহিত্য#''কৃষ্ণকুমারী''|''কৃষ্ণকুমারী'']]
## [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের নাট্যসাহিত্য#প্রহসন|প্রহসন: ''একেই কি বলে সভ্যতা'' ও ''বুড়ো শালিকের ঘাড়ে রোঁ'']]
## [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের নাট্যসাহিত্য#প্রহসন|অন্যান্য নাটক: ''মায়াকানন'' ও ''বিষ না ধনুর্গুণ'']]
## [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের নাট্যসাহিত্য#বাংলা নাটকের ইতিহাসে মাইকেল মধুসূদন দত্তের স্থান|বাংলা নাটকের ইতিহাসে মাইকেল মধুসূদন দত্তের স্থান]]
# [[/দীনবন্ধু মিত্র|দীনবন্ধু মিত্র]]
## [[/দীনবন্ধু মিত্র#সামাজিক নাটক|সামাজিক নাটক]]
### [[/দীনবন্ধু মিত্র#নীলদর্পণ|''নীলদর্পণ'']]
#### [[/দীনবন্ধু মিত্র#নীল বিদ্রোহ ও নীলদর্পণ নাটক|নীল বিদ্রোহ ও ''নীলদর্পণ'' নাটক]]
#### [[/দীনবন্ধু মিত্র#নীলদর্পণ নাটকের সংক্ষিপ্ত কাহিনি|''নীলদর্পণ'' নাটকের সংক্ষিপ্ত কাহিনি]]
#### [[/দীনবন্ধু মিত্র#সমালোচনা|সমালোচনা]]
## [[/দীনবন্ধু মিত্র#অন্যান্য নাটক|অন্যান্য নাটক]]
### [[/দীনবন্ধু মিত্র#প্রহসন|প্রহসন]]
#### [[/দীনবন্ধু মিত্র#সধবার একাদশী ও নিমচাঁদ চরিত্র|''সধবার একাদশী'' ও নিমচাঁদ চরিত্র]]
## [[/দীনবন্ধু মিত্র#বাংলা নাট্যসাহিত্যে দীনবন্ধু মিত্রের অবদান|বাংলা নাট্যসাহিত্যে দীনবন্ধু মিত্রের অবদান]]
# [[/মনোমোহন বসু|মনোমোহন বসু]]
# [[/জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর|জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর]]
## [[/জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর#জ্যোতিরিন্দ্রনাথের ঐতিহাসিক নাটক|ঐতিহাসিক নাটক]]
## [[/জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর#জ্যোতিরিন্দ্রনাথের প্রহসন|প্রহসন]]
## [[/জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর#জ্যোতিরিন্দ্রনাথের অনুবাদ নাটক|অনুবাদ নাটক]]
# [[/উপেন্দ্রনাথ দাস|উপেন্দ্রনাথ দাস]]
# [[/রাজকৃষ্ণ রায়|রাজকৃষ্ণ রায়]]
# [[/গিরিশচন্দ্র ঘোষ|গিরিশচন্দ্র ঘোষ]]
# [[/অমৃতলাল বসু|অমৃতলাল বসু]]
# [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়|দ্বিজেন্দ্রলাল রায়]]
## [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#প্রহসন|প্রহসন]]
### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#কল্কি অবতার|''কল্কি অবতার'']]
### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#বিরহ|''বিরহ'']]
### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#ত্র্যহস্পর্শ|''ত্র্যহস্পর্শ'']]
### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#প্রায়শ্চিত্ত|''প্রায়শ্চিত্ত'']]
### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#পুনর্জন্ম|''পুনর্জন্ম'']]
### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#আনন্দবিদায়|''আনন্দবিদায়'']]
## [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#পৌরাণিক নাটক|পৌরাণিক নাটক]]
### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#পাষাণী|''পাষাণী'']]
### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#সীতা|''সীতা'']]
### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#ভীষ্ম|''ভীষ্ম'']]
## [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#সামাজিক নাটক|সামাজিক নাটক]]
### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#পরপারে|''পরপারে'']]
### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#বঙ্গনারী|''বঙ্গনারী'']]
## [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#অপেরা|অপেরা]]
### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#সোরাব-রুস্তম|''সোরাব-রুস্তম'']]
## [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#ঐতিহাসিক নাটক|ঐতিহাসিক নাটক]]
### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#রাজপুত ইতিহাস-নির্ভর ঐতিহাসিক নাটক|রাজপুত ইতিহাস-নির্ভর ঐতিহাসিক নাটক]]
#### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#তারাবাঈ|''তারাবাঈ'']]
#### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#রাণা প্রতাপ সিংহ|''রাণা প্রতাপ সিংহ'']]
#### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#দুর্গাদাস|''দুর্গাদাস'']]
#### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#মেবার পতন|''মেবার পতন'']]
### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#অন্যান্য ঐতিহাসিক নাটক|অন্যান্য ঐতিহাসিক নাটক]]
#### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#নূরজাহান|''নূরজাহান'']]
#### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#সাজাহান|''সাজাহান'']]
#### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#চন্দ্রগুপ্ত|''চন্দ্রগুপ্ত'']]
#### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#সিংহল বিজয়|''সিংহল বিজয়'']]
## [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#দ্বিজেন্দ্রলালের নাটকে সংলাপের ভাষা|দ্বিজেন্দ্রলালের নাটকে সংলাপের ভাষা]]
## [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#মূল্যায়ন|মূল্যায়ন]]
# [[/ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ|ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ]]
## [[/ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ#অপেরা বা গীতিমুখর নাটক|অপেরা বা গীতিমুখর নাটক]]
## [[/ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ#পৌরাণিক নাটক|পৌরাণিক নাটক]]
## [[/ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ#কাল্পনিক নাটক|কাল্পনিক নাটক]]
## [[/ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ#অপেরা বা গীতিমুখর নাটক|অপেরা বা গীতিমুখর নাটক]]
## [[/ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ#ঐতিহাসিক নাটক|ঐতিহাসিক নাটক]]
## [[/ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ#মূল্যায়ন|মূল্যায়ন]]
# [[/বিশ শতকের বাংলা নাটক|বিশ শতকের বাংলা নাটক]]
## [[/বিশ শতকের বাংলা নাটক#অপরেশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়|অপরেশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়]]
## [[/বিশ শতকের বাংলা নাটক#গতানুগতিক ধারার নাট্যকারগণ|গতানুগতিক ধারার নাট্যকারগণ]]
## [[/বিশ শতকের বাংলা নাটক#যোগেশচন্দ্র চৌধুরী|যোগেশচন্দ্র চৌধুরী]]
## [[/বিশ শতকের বাংলা নাটক#মন্মথ রায়|মন্মথ রায়]]
## [[/বিশ শতকের বাংলা নাটক#শচীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত|শচীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত]]
## [[/বিশ শতকের বাংলা নাটক#বিধায়ক ভট্টাচার্য|বিধায়ক ভট্টাচার্য]]
## [[/বিশ শতকের বাংলা নাটক#প্রমথনাথ বিশী|প্রমথনাথ বিশী]]
## [[/বিশ শতকের বাংলা নাটক#জীবনী নাটক|জীবনী নাটক]]
## [[/বিশ শতকের বাংলা নাটক#নবনাট্য আন্দোলন|নবনাট্য আন্দোলন]]
## [[/বিশ শতকের বাংলা নাটক#বিদেশি নাটকের বঙ্গীকরণ|বিদেশি নাটকের বঙ্গীকরণ]]
# [[/পৌরাণিক নাটক|বাংলা পৌরাণিক নাটকের বিকাশ]]
## [[/পৌরাণিক নাটক#প্রথম পর্বের বাংলা পৌরাণিক নাটক|প্রথম পর্ব: হরচন্দ্র ঘোষ, কালীপ্রসন্ন সিংহ, মাইকেল মধুসূদন দত্ত ও রামনারায়ণ তর্করত্ন]]
## [[/পৌরাণিক নাটক#দ্বিতীয় পর্বের বাংলা পৌরাণিক নাটক|দ্বিতীয় পর্ব: মনোমোহন বসু, রাজকৃষ্ণ রায়, অতুলকৃষ্ণ মিত্র ও গিরিশচন্দ্র ঘোষ]]
## [[/পৌরাণিক নাটক#তৃতীয় পর্বের বাংলা পৌরাণিক নাটক|তৃতীয় পর্ব: দ্বিজেন্দ্রলাল রায়, ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ, অপরেশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়, ভূপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, যোগেশচন্দ্র চৌধুরী, মন্মথ রায় ও মহেন্দ্র গুপ্ত]]
## [[/পৌরাণিক নাটক#বাংলা পৌরাণিক নাটকের পরিণতি|পরিণতি]]
# [[/ঐতিহাসিক নাটক|বাংলা ঐতিহাসিক নাটকের বিকাশ]]
# [[/সামাজিক ও পারিবারিক নাটক|বাংলা সামাজিক ও পারিবারিক নাটকের বিকাশ]]
## [[/সামাজিক ও পারিবারিক নাটক#প্রথম পর্বের সামাজিক নাটক|প্রথম পর্বের সামাজিক নাটক: রামনারায়ণ তর্করত্ন, উমেশচন্দ্র মিত্র, দীনবন্ধু মিত্র ও অন্যান্য]]
## [[/সামাজিক ও পারিবারিক নাটক#দ্বিতীয় পর্বের সামাজিক ও পারিবারিক নাটক|দ্বিতীয় পর্বের সামাজিক ও পারিবারিক নাটক: উপেন্দ্রনাথ দাস, গিরিশচন্দ্র ঘোষ, দ্বিজেন্দ্রলাল রায় ও অন্যান্য]]
## [[/সামাজিক ও পারিবারিক নাটক#তৃতীয় পর্বের পারিবারিক নাটক|তৃতীয় পর্বের পারিবারিক নাটক: শচীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত, জলধর চট্টোপাধ্যায়, মহেন্দ্র গুপ্ত ও বিধায়ক ভট্টাচার্য]]
## [[/সামাজিক ও পারিবারিক নাটক#চতুর্থ পর্বের আধুনিক সমাজ-সচেতন নাটক|চতুর্থ পর্বের আধুনিক সমাজ-সচেতন নাটক: বিজন ভট্টাচার্য, তুলসী লাহিড়ী, সলিল সেন ও অন্যান্য]]
# [[/প্রহসন|বাংলা প্রহসনের বিকাশ]]
## [[/প্রহসন#প্রথম পর্বের প্রহসন: রামনারায়ণ তর্করত্ন, কালীপ্রসন্ন সিংহ, মাইকেল মধুসূদন দত্ত, দীনবন্ধু মিত্র ও জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর|প্রথম পর্বের প্রহসন: রামনারায়ণ তর্করত্ন, কালীপ্রসন্ন সিংহ, মাইকেল মধুসূদন দত্ত, দীনবন্ধু মিত্র ও জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর]]
## [[/প্রহসন#দ্বিতীয় পর্বের প্রহসন: গিরিশচন্দ্র ঘোষ, অমৃতলাল বসু, দ্বিজেন্দ্রলাল রায়, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর|দ্বিতীয় পর্বের প্রহসন: গিরিশচন্দ্র ঘোষ, অমৃতলাল বসু, দ্বিজেন্দ্রলাল রায়, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর]]
## [[/প্রহসন#তৃতীয় পর্বের প্রহসন: রবীন্দ্রনাথ মৈত্র, প্রমথনাথ বিশী, বিধায়ক ভট্টাচার্য প্রমুখ|তৃতীয় পর্বের প্রহসন: রবীন্দ্রনাথ মৈত্র, প্রমথনাথ বিশী, বিধায়ক ভট্টাচার্য প্রমুখ]]
=== পর্ব ৪: আধুনিক বাংলা কাব্যসাহিত্য ===
# [[/কবিওয়ালা|কবিওয়ালা]]
# [[/ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত|ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত]]
# [[/মদনমোহন তর্কালঙ্কার|মদনমোহন তর্কালঙ্কার]]
# [[/উনিশ শতকের মহাকাব্য ও আখ্যানকাব্য|উনিশ শতকের বাংলা মহাকাব্য ও আখ্যানকাব্য]]
## [[/উনিশ শতকের মহাকাব্য ও আখ্যানকাব্য#আখ্যানকাব্যের বৈশিষ্ট্য|আখ্যানকাব্যের বৈশিষ্ট্য]]
## [[/উনিশ শতকের মহাকাব্য ও আখ্যানকাব্য#মহাকাব্যের বৈশিষ্ট্য|মহাকাব্যের বৈশিষ্ট্য]]
### [[/উনিশ শতকের মহাকাব্য ও আখ্যানকাব্য#মাইকেল মধুসূদন দত্তের মহাকাব্য|মাইকেল মধুসূদন দত্তের মহাকাব্য]]
### [[/উনিশ শতকের মহাকাব্য ও আখ্যানকাব্য#হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের মহাকাব্য ও আখ্যানকাব্য|হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের মহাকাব্য ও আখ্যানকাব্য]]
### [[/উনিশ শতকের মহাকাব্য ও আখ্যানকাব্য#নবীনচন্দ্র সেনের মহাকাব্য ও আখ্যানকাব্য|নবীনচন্দ্র সেনের মহাকাব্য ও আখ্যানকাব্য]]
## [[/উনিশ শতকের মহাকাব্য ও আখ্যানকাব্য#বাংলা মহাকাব্যের পরিণতি|বাংলা মহাকাব্যের পরিণতি]]
## [[/উনিশ শতকের মহাকাব্য ও আখ্যানকাব্য#বাংলা আখ্যানকাব্যের পরিণতি|বাংলা আখ্যানকাব্যের পরিণতি]]
# [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের কাব্যসাহিত্য|মাইকেল মধুসূদন দত্ত]]
## [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের কাব্যসাহিত্য#কাব্যসাহিত্য|কাব্যসাহিত্য]]
### [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের কাব্যসাহিত্য#তিলোত্তমাসম্ভব কাব্য|''তিলোত্তমাসম্ভব কাব্য'']]
### [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের কাব্যসাহিত্য#মেঘনাদবধ কাব্য|''মেঘনাদবধ কাব্য'']]
### [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের কাব্যসাহিত্য#ব্রজাঙ্গনা কাব্য|''ব্রজাঙ্গনা কাব্য'']]
### [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের কাব্যসাহিত্য#বীরাঙ্গনা কাব্য|''বীরাঙ্গনা কাব্য'']]
### [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের কাব্যসাহিত্য#চতুর্দশপদী কবিতাবলী|''চতুর্দশপদী কবিতাবলী'']]
## [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের কাব্যসাহিত্য#মূল্যায়ন|মূল্যায়ন]]
# [[/হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়|হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়]]
# [[/নবীনচন্দ্র সেন|নবীনচন্দ্র সেন]]
# [[/বিহারীলাল চক্রবর্তী|বিহারীলাল চক্রবর্তী]]
## [[/বিহারীলাল চক্রবর্তী#রচনাবলি|রচনাবলি]]
## [[/বিহারীলাল চক্রবর্তী#কবিপ্রতিভার বৈশিষ্ট্য|কবিপ্রতিভার বৈশিষ্ট্য]]
## [[/বিহারীলাল চক্রবর্তী#শৈল্পিক ত্রুটি|শৈল্পিক ত্রুটি]]
## [[/বিহারীলাল চক্রবর্তী#বিশুদ্ধ গীতিকবিতার জনক বিহারীলাল|বিশুদ্ধ গীতিকবিতার জনক বিহারীলাল]]
# [[/আখ্যানকাব্য ও গীতিকাব্যের ধারা ও পরিণাম|বাংলা আখ্যানকাব্য ও গীতিকাব্যের ধারা ও পরিণাম]]
# [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক কবিগণ|রবীন্দ্র-সমসাময়িক কবিগণ]]
## [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক কবিগণ#রবীন্দ্র-পরিমণ্ডলের অন্তর্ভুক্ত কবিগণ|রবীন্দ্র-পরিমণ্ডলের অন্তর্ভুক্ত কবিগণ]]
## [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক কবিগণ#রবীন্দ্র-প্রভাবিক কবিগোষ্ঠী|রবীন্দ্র-প্রভাবিক কবিগোষ্ঠী]]
### [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক কবিগণ#দ্বিজেন্দ্রলাল রায়|দ্বিজেন্দ্রলাল রায়]]
### [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক কবিগণ#সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত|সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত]]
### [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক কবিগণ#করুণানিধন বন্দ্যোপাধ্যায়|করুণানিধন বন্দ্যোপাধ্যায়]]
### [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক কবিগণ#যতীন্দ্রমোহন বাগচি|যতীন্দ্রমোহন বাগচি]]
### [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক কবিগণ#কুমুদরঞ্জন মল্লিক, কালিদাস রায় ও কিরণধন চট্টোপাধ্যায়|কুমুদরঞ্জন মল্লিক, কালিদাস রায় ও কিরণধন চট্টোপাধ্যায়]]
## [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক কবিগণ#রবীন্দ্রবিরোধী কবিগোষ্ঠী|রবীন্দ্রবিরোধী কবিগোষ্ঠী]]
### [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক কবিগণ#মোহিতলাল মজুমদার|মোহিতলাল মজুমদার]]
### [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক কবিগণ#যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত|যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত]]
### [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক কবিগণ#কাজী নজরুল ইসলাম|কাজী নজরুল ইসলাম]]
# [[/উনিশ শতকের মহিলা কবিগণ|উনিশ শতকের মহিলা কবিগণ]]
## [[/উনিশ শতকের মহিলা কবিগণ#মোক্ষদায়িনী মুখোপাধ্যায়|মোক্ষদায়িনী মুখোপাধ্যায়]]
## [[/উনিশ শতকের মহিলা কবিগণ#স্বর্ণকুমারী দেবী|স্বর্ণকুমারী দেবী]]
## [[/উনিশ শতকের মহিলা কবিগণ#গিরীন্দ্রমোহিনী দাসী|গিরীন্দ্রমোহিনী দাসী]]
## [[/উনিশ শতকের মহিলা কবিগণ#মানকুমারী বসু|মানকুমারী বসু]]
## [[/উনিশ শতকের মহিলা কবিগণ#কামিনী রায়|কামিনী রায়]]
## [[/উনিশ শতকের মহিলা কবিগণ#সরোজকুমারী দেবী|সরোজকুমারী দেবী]]
## [[/উনিশ শতকের মহিলা কবিগণ#অন্যান্য মহিলা কবিগণ|অন্যান্য মহিলা কবিগণ]]
# [[/রবীন্দ্র-পরবর্তী বাংলা কবিতা|রবীন্দ্র-পরবর্তী বাংলা কবিতা]]
## [[/রবীন্দ্র-পরবর্তী বাংলা কবিতা#বুদ্ধদেব বসু|বুদ্ধদেব বসু]]
## [[/রবীন্দ্র-পরবর্তী বাংলা কবিতা#জীবনানন্দ দাশ|জীবনানন্দ দাশ]]
## [[/রবীন্দ্র-পরবর্তী বাংলা কবিতা#অজিত দত্ত|অজিত দত্ত]]
## [[/রবীন্দ্র-পরবর্তী বাংলা কবিতা#সুধীন্দ্রনাথ দত্ত|সুধীন্দ্রনাথ দত্ত]]
## [[/রবীন্দ্র-পরবর্তী বাংলা কবিতা#বিষ্ণু দে|বিষ্ণু দে]]
## [[/রবীন্দ্র-পরবর্তী বাংলা কবিতা#প্রেমেন্দ্র মিত্র|প্রেমেন্দ্র মিত্র]]
## [[/রবীন্দ্র-পরবর্তী বাংলা কবিতা#অমিয় চক্রবর্তী|অমিয় চক্রবর্তী]]
## [[/রবীন্দ্র-পরবর্তী বাংলা কবিতা#সমর সেন|সমর সেন]]
## [[/রবীন্দ্র-পরবর্তী বাংলা কবিতা#সুকান্ত ভট্টাচার্য|সুকান্ত ভট্টাচার্য]]
## [[/রবীন্দ্র-পরবর্তী বাংলা কবিতা#অন্যান্য কবিগণ|অন্যান্য কবিগণ]]
=== পর্ব ৫: রবীন্দ্রসাহিত্য ===
# [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতা|কবিতা]]
# [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক|নাটক]]
## [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#রবীন্দ্রনাথের গীতিনাট্য: বাল্মীকিপ্রতিভা, কালমৃগয়া ও মায়ার খেলা|রবীন্দ্রনাথের গীতিনাট্য: ''বাল্মীকিপ্রতিভা'', ''কালমৃগয়া'' ও ''মায়ার খেলা'']]
## [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#রবীন্দ্রনাথের কাব্যনাট্য|কাব্যনাট্য]]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#প্রকৃতির প্রতিশোধ|''প্রকৃতির প্রতিশোধ'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#চিত্রাঙ্গদা|''চিত্রাঙ্গদা'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#বিদায় অভিশাপ|''বিদায় অভিশাপ'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#কাহিনী গ্রন্থের কাব্যনাট্যসমূহ|''কাহিনী'' গ্রন্থের কাব্যনাট্যসমূহ: "গান্ধারীর আবেদন", "সতী", "নরকবাস", "লক্ষ্মীর পরীক্ষা" ও "কর্ণকুন্তীসংবাদ"]]
## [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#রবীন্দ্রনাথের প্রথানুগ নাটক|প্রথানুগ নাটক]]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#রাজা ও রানী ও তপতী|''রাজা ও রানী'' ও ''তপতী'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#বিসর্জন|''বিসর্জন'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#মালিনী|''মালিনী'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#প্রায়শ্চিত্ত ও পরিত্রাণ|''প্রায়শ্চিত্ত'' ও ''পরিত্রাণ'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#রবীন্দ্রনাথের পারিবারিক নাটক: গৃহপ্রবেশ ও শোধবোধ|রবীন্দ্রনাথের পারিবারিক নাটক: ''গৃহপ্রবেশ'' ও ''শোধবোধ'']]
## [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#রবীন্দ্রনাথের প্রহসন বা কৌতুকনাট্য|প্রহসন বা কৌতুকনাট্য]]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#গোড়ায় গলদ ও শেষরক্ষা|''গোড়ায় গলদ'' ও ''শেষরক্ষা'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#বৈকুণ্ঠের খাতা|''বৈকুণ্ঠের খাতা'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#হাস্যকৌতুক ও ব্যঙ্গকৌতুক|''হাস্যকৌতুক'' ও ''ব্যঙ্গকৌতুক'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#চিরকুমার সভা|''চিরকুমার সভা'']]
## [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#রবীন্দ্রনাথের রূপক-সাংকেতিক নাটক|রূপক-সাংকেতিক নাটক]]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#শারদোৎসব ও ঋণশোধ|''শারদোৎসব'' ও ''ঋণশোধ'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#রাজা ও অরূপরতন|''রাজা'' ও ''অরূপরতন'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#অচলায়তন ও গুরু|''অচলায়তন'' ও ''গুরু'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#ডাকঘর|''ডাকঘর'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#ফাল্গুনী|''ফাল্গুনী'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#মুক্তধারা|''মুক্তধারা'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#রক্তকরবী|''রক্তকরবী'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#রথের রশি ও তাসের দেশ|''রথের রশি'' ও ''তাসের দেশ'']]
# [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উপন্যাস|উপন্যাস]]
# [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছোটোগল্প|ছোটোগল্প]]
# [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রবন্ধসাহিত্য|প্রবন্ধসাহিত্য]]
## [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রবন্ধসাহিত্য#প্রবন্ধসাহিত্যের শ্রেণিবিভাগ|প্রবন্ধসাহিত্যের শ্রেণিবিভাগ]]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রবন্ধসাহিত্য#প্রবন্ধসাহিত্যের শ্রেণিবিভাগ|প্রবন্ধসাহিত্যের শ্রেণিবিভাগ]]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রবন্ধসাহিত্য#সমালোচনা, সাহিত্যতত্ত্ব ও সাহিত্য আলোচনা-বিষয়ক প্রবন্ধ|সমালোচনা, সাহিত্যতত্ত্ব ও সাহিত্য আলোচনা-বিষয়ক প্রবন্ধ]]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রবন্ধসাহিত্য#শিক্ষা, সমাজ ও রাজনীতি-বিষয়ক প্রবন্ধ|শিক্ষা, সমাজ ও রাজনীতি-বিষয়ক প্রবন্ধ]]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রবন্ধসাহিত্য#ধর্ম, দর্শন ও অধ্যাত্ম-বিষয়ক প্রবন্ধ|ধর্ম, দর্শন ও অধ্যাত্ম-বিষয়ক প্রবন্ধ]]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রবন্ধসাহিত্য#ভ্রমণসাহিত্য|ভ্রমণসাহিত্য]]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রবন্ধসাহিত্য#পত্রসাহিত্য|পত্রসাহিত্য]]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রবন্ধসাহিত্য#আত্মকথা ও জীবনী|আত্মকথা ও জীবনী]]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রবন্ধসাহিত্য#আবেগধর্মী প্রবন্ধ|আবেগধর্মী প্রবন্ধ]]
## [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রবন্ধসাহিত্য#মূল্যায়ন|মূল্যায়ন]]
# [[/রবীন্দ্রসংগীত|রবীন্দ্রসংগীত]]
{{বিষয়|বাংলা সাহিত্য}}
{{বর্ণানুক্রমিক|আ}}
{{বিষয়|সাহিত্য}}
{{বইয়ের বিষয়শ্রেণী}}
cfsszyy5227uixqlqnh8o14qsuw6ppu
84437
84429
2025-06-16T21:40:43Z
Jonoikobangali
676
/* পর্ব ৩: বাংলা নাটক */
84437
wikitext
text/x-wiki
{{অবস্থা|৫০%}}<p align=center><font size=7 color="DarkBlue"><b>আধুনিক বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস</b></font></p>
==সূচিপত্র==
=== ভূমিকা ===
# [[/আধুনিক যুগের সূত্রপাত|বাংলা সাহিত্যে আধুনিক যুগের সূত্রপাত]]
## [[/আধুনিক যুগের সূত্রপাত#আধুনিকতার লক্ষণ|আধুনিকতার লক্ষণ]]
### [[/আধুনিক যুগের সূত্রপাত#মানবতাবোধ|মানবতাবোধ]]
### [[/আধুনিক যুগের সূত্রপাত#জাতীয়তাবোধ|জাতীয়তাবোধ]]
### [[/আধুনিক যুগের সূত্রপাত#বৈজ্ঞানিক চেতনা ও যুক্তিবাদ|বৈজ্ঞানিক চেতনা ও যুক্তিবাদ]]
## [[/আধুনিক যুগের সূত্রপাত#আধুনিক সাহিত্যের বিকাশ|আধুনিক সাহিত্যের বিকাশ]]
### [[/আধুনিক যুগের সূত্রপাত#গদ্যসাহিত্য|গদ্যসাহিত্য]]
### [[/আধুনিক যুগের সূত্রপাত#কথাসাহিত্য|কথাসাহিত্য]]
### [[/আধুনিক যুগের সূত্রপাত#কাব্যসাহিত্য|কাব্যসাহিত্য]]
### [[/আধুনিক যুগের সূত্রপাত#নাট্যসাহিত্য|নাট্যসাহিত্য]]
## [[/আধুনিক যুগের সূত্রপাত#মূল্যায়ন|মূল্যায়ন]]
=== পর্ব ১: বাংলা গদ্যসাহিত্য ===
# [[/গদ্যসাহিত্যের সূত্রপাত|বাংলা গদ্যসাহিত্যের সূত্রপাত (উনিশ শতকের পূর্ববর্তী বাংলা গদ্যসাহিত্য)]]
## [[/গদ্যসাহিত্যের সূত্রপাত#কোচবিহারের রাজার চিঠি ও অন্যান্য দলিল|কোচবিহারের রাজার চিঠি ও অন্যান্য দলিল]]
## [[/গদ্যসাহিত্যের সূত্রপাত#বৈষ্ণব নিবন্ধে গদ্য|বৈষ্ণব নিবন্ধে গদ্য]]
## [[/গদ্যসাহিত্যের সূত্রপাত#দোমিঙ্গো দে সোসা|দোমিঙ্গো দে সোসা]]
## [[/গদ্যসাহিত্যের সূত্রপাত#দোম আন্তোনিও দে রোজারিও: ব্রাহ্মণ-রোমান-ক্যাথলিক-সংবাদ|দোম আন্তোনিও দে রোজারিও: ''ব্রাহ্মণ-রোমান-ক্যাথলিক-সংবাদ'']]
## [[/গদ্যসাহিত্যের সূত্রপাত#মানোএল দ্য আস্মুম্পসাঁউ: কৃপার শাস্ত্রের অর্থভেদ|মানোএল দ্য আস্মুম্পসাঁউ: ''কৃপার শাস্ত্রের অর্থভেদ'']]
## [[/গদ্যসাহিত্যের সূত্রপাত#অন্যান্য নিদর্শন|অন্যান্য নিদর্শন]]
## [[/গদ্যসাহিত্যের সূত্রপাত#দেশীয় লেখকদের কৃতিত্ব|দেশীয় লেখকদের কৃতিত্ব]]
# [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ|শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ]]
## [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ#শ্রীরামপুর ব্যাপটিস্ট মিশন|শ্রীরামপুর ব্যাপটিস্ট মিশন]]
### [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ#শ্রীরামপুর ব্যাপটিস্ট মিশন প্রতিষ্ঠা|শ্রীরামপুর ব্যাপটিস্ট মিশন প্রতিষ্ঠা]]
### [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ#বাইবেল অনুবাদ|বাইবেল অনুবাদ]]
### [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ#ছাপাখানা প্রতিষ্ঠা ও সাময়িকপত্র|ছাপাখানা প্রতিষ্ঠা ও সাময়িকপত্র]]
### [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ#মিশনারিদের রচনার বৈশিষ্ট্য|মিশনারিদের রচনার বৈশিষ্ট্য]]
## [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ#ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ|ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ]]
### [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ#ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের প্রতিষ্ঠা|ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের প্রতিষ্ঠা]]
### [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ#পণ্ডিত-মুন্সিদের রচনা|পণ্ডিত-মুন্সিদের রচনা]]
#### [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ#উইলিয়াম কেরি|উইলিয়াম কেরি]]
#### [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ#রামরাম বসু|রামরাম বসু]]
#### [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ#মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার|মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার]]
#### [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ#অন্যান্য লেখকবর্গ|অন্যান্য লেখকবর্গ]]
### [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ#পণ্ডিত-মুন্সিদের গদ্যের রচনার বৈশিষ্ট্য|পণ্ডিত-মুন্সিদের গদ্যের রচনার বৈশিষ্ট্য]]
## [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ#মিশনারি ও কলেজের পণ্ডিত-মুন্সিদের গদ্যচর্চার তুলনা|মিশনারি ও কলেজের পণ্ডিত-মুন্সিদের গদ্যচর্চার তুলনা]]
# [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র|উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র]]
## [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#সংবাদপত্রের সূচনা|সংবাদপত্রের সূচনা]]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#দিগ্দর্শন|দিগ্দর্শন]]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#সমাচার-দর্পণ|সমাচার-দর্পণ]]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#গঙ্গাকিশোর ভট্টাচার্যের বেঙ্গল গেজেট|গঙ্গাকিশোর ভট্টাচার্যের ''বেঙ্গল গেজেট'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#সম্বাদ কৌমুদী|''সম্বাদ কৌমুদী'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#সমাচার-চন্দ্রিকা|''সমাচার-চন্দ্রিকা'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#সংবাদ প্রভাকর|''সংবাদ প্রভাকর'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা|''তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#উনিশ শতকের প্রথমার্ধের অন্যান্য পত্রপত্রিকা|উনিশ শতকের প্রথমার্ধের অন্যান্য পত্রপত্রিকা]]
## [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#উনিশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধের পত্রপত্রিকা|উনিশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধের পত্রপত্রিকা]]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#বিবিধার্থ সংগ্রহ|''বিবিধার্থ সংগ্রহ'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#মাসিক পত্রিকা|''মাসিক পত্রিকা'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#এডুকেশন গেজেট|''এডুকেশন গেজেট'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#সোমপ্রকাশ|''সোমপ্রকাশ'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#রহস্য-সন্দর্ভ|''রহস্য-সন্দর্ভ'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#অবোধবন্ধু|''অবোধবন্ধু'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#বঙ্গদর্শন|''বঙ্গদর্শন'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#প্রচার|''প্রচার'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#নবজীবন|''নবজীবন'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#ভারতী|''ভারতী'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#বালক|''বালক'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#সাধনা|''সাধনা'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#বঙ্গবাসী|''বঙ্গবাসী'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#হিতবাদী|''হিতবাদী'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#জন্মভূমি|''জন্মভূমি'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#বামাবোধিনী|''বামাবোধিনী'']]
## [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#পত্রিকাকেন্দ্রিক লেখকগোষ্ঠী|পত্রিকাকেন্দ্রিক লেখকগোষ্ঠী]]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#তত্ত্ববোধিনী গোষ্ঠী|তত্ত্ববোধিনী গোষ্ঠী]]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#বঙ্গদর্শন গোষ্ঠী|বঙ্গদর্শন গোষ্ঠী]]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#ভারতী ও সাধনা গোষ্ঠী|ভারতী ও সাধনা গোষ্ঠী]]
## [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#অবদান|অবদান]]
# [[/রাজা রামমোহন রায়|রাজা রামমোহন রায়]]
## [[/রাজা রামমোহন রায়#রামমোহন রায়ের রচনাবলি|রামমোহন রায়ের রচনাবলি]]
## [[/রাজা রামমোহন রায়#রামমোহন রায়ের গদ্যরীতি|রামমোহন রায়ের গদ্যরীতি]]
## [[/রাজা রামমোহন রায়#গদ্যশিল্পে রামমোহন রায়ের প্রভাব|গদ্যশিল্পে রামমোহন রায়ের প্রভাব]]
# [[/অক্ষয়কুমার দত্ত|অক্ষয়কুমার দত্ত]]
# [[/ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর|ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর]]
## [[/ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর#অনুবাদ সাহিত্য|অনুবাদ সাহিত্য]]
## [[/ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর#মৌলিক রচনা|মৌলিক রচনা]]
## [[/ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর#বিদ্যাসাগরের গদ্যরীতির বৈশিষ্ট্য|বিদ্যাসাগরের গদ্যরীতির বৈশিষ্ট্য]]
## [[/ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর#‘বাংলা গদ্যের জনক’|‘বাংলা গদ্যের জনক’]]
# [[/দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর|দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর]]
# [[/ভূদেব মুখোপাধ্যায়|ভূদেব মুখোপাধ্যায়]]
# [[/রাজনারায়ণ বসু|রাজনারায়ণ বসু]]
# [[/বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রবন্ধসাহিত্য|বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রবন্ধসাহিত্য]]
## [[/বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রবন্ধসাহিত্য#বঙ্কিমচন্দ্রের প্রবন্ধসাহিত্যে বৈচিত্র্য|বৈচিত্র্য]]
## [[/বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রবন্ধসাহিত্য#জ্ঞানচর্চামূলক প্রবন্ধ|জ্ঞানচর্চামূলক প্রবন্ধ]]
## [[/বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রবন্ধসাহিত্য#বিচারমূলক প্রবন্ধ|বিচারমূলক প্রবন্ধ]]
## [[/বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রবন্ধসাহিত্য#রসব্যঞ্জনামূলক প্রবন্ধ|রসব্যঞ্জনামূলক প্রবন্ধ]]
## [[/বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রবন্ধসাহিত্য#প্রবন্ধসাহিত্যে বঙ্কিমচন্দ্রের অবদান|অবদান]]
# [[/বঙ্কিম-সমকালীন প্রাবন্ধিক গোষ্ঠী|বঙ্কিম-সমকালীন প্রাবন্ধিক গোষ্ঠী]]
# [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক বাংলা প্রবন্ধসাহিত্য|রবীন্দ্র-সমসাময়িক প্রবন্ধসাহিত্য]]
## [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক বাংলা প্রবন্ধসাহিত্য#বলেন্দ্রনাথ ঠাকুর|বলেন্দ্রনাথ ঠাকুর]]
## [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক বাংলা প্রবন্ধসাহিত্য#অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর|অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর]]
## [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক বাংলা প্রবন্ধসাহিত্য#রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদী|রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদী]]
## [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক বাংলা প্রবন্ধসাহিত্য#প্রমথ চৌধুরী|প্রমথ চৌধুরী]]
## [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক বাংলা প্রবন্ধসাহিত্য#পাঁচকড়ি বন্দ্যোপাধ্যায়|পাঁচকড়ি বন্দ্যোপাধ্যায়]]
## [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক বাংলা প্রবন্ধসাহিত্য#মোহিতলাল মজুমদার|মোহিতলাল মজুমদার]]
## [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক বাংলা প্রবন্ধসাহিত্য#রবীন্দ্র-পরবর্তীকালের বাংলা প্রবন্ধসাহিত্য|রবীন্দ্র-পরবর্তীকালের বাংলা প্রবন্ধসাহিত্য]]
===পরিশিষ্ট: বাংলা গদ্যসাহিত্য===
# [[/রামমোহন, বিদ্যাসাগর ও অক্ষয়কুমারের অবদান|রামমোহন, বিদ্যাসাগর ও অক্ষয়কুমারের অবদান]]
# [[/বাংলা গদ্যে আলালী ও বিদ্যাসাগরী রীতির বিবর্তন|বাংলা গদ্যে আলালী ও বিদ্যাসাগরী রীতির বিবর্তন]]
# [[/বাংলা গদ্যে চলিত রীতির বিবর্তন|বাংলা গদ্যে চলিত রীতি বিবর্তন]]
# [[/ভূদেব মুখোপাধ্যায় ও বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়|ভূদেব মুখোপাধ্যায় ও বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়]]
=== পর্ব ২: বাংলা উপন্যাস ও ছোটোগল্প ===
# [[/উপন্যাসের সূত্রপাত|বাংলা সাহিত্যে উপন্যাসের সূত্রপাত]]
## [[/উপন্যাসের সূত্রপাত#উপন্যাসের সূত্রপাত|উপন্যাসের সূত্রপাত]]
## [[/উপন্যাসের সূত্রপাত#উপন্যাস রচনার প্রথম প্রচেষ্টা|উপন্যাস রচনার প্রথম প্রচেষ্টা]]
## [[/উপন্যাসের সূত্রপাত#হানা ক্যাথারিন মুলেন্সের ফুলমণি ও করুণার বৃত্তান্ত|হানা ক্যাথারিন মুলেন্সের ''ফুলমণি ও করুণার বৃত্তান্ত'']]
## [[/উপন্যাসের সূত্রপাত#প্যারীচাঁদ মিত্রের আলালের ঘরের দুলাল|প্যারীচাঁদ মিত্রের ''আলালের ঘরের দুলাল'']]
## [[/উপন্যাসের সূত্রপাত#কালীপ্রসন্ন সিংহের হুতোম প্যাঁচার নক্সা|কালীপ্রসন্ন সিংহের ''হুতোম প্যাঁচার নক্সা'']]
## [[/উপন্যাসের সূত্রপাত#রোম্যান্স রচনার সূত্রপাত|রোম্যান্স রচনার সূত্রপাত: ভূদেব মুখোপাধ্যায়, কৃষ্ণকমল ভট্টাচার্য ও গোপীমোহন ঘোষ]]
## [[/উপন্যাসের সূত্রপাত#সূচনা পর্বের উপন্যাসের সাহিত্যমূল্য|সূচনা পর্বের উপন্যাসের সাহিত্যমূল্য]]
# [[/বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের উপন্যাস|বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের উপন্যাস]]
# [[/বঙ্কিম-সমকালীন ঔপন্যাসিক গোষ্ঠী|বঙ্কিম-সমকালীন ঔপন্যাসিক গোষ্ঠী]]
## [[/বঙ্কিম-সমকালীন ঔপন্যাসিক গোষ্ঠী#রমেশচন্দ্র দত্ত|রমেশচন্দ্র দত্ত]]
## [[/বঙ্কিম-সমকালীন ঔপন্যাসিক গোষ্ঠী#সঞ্জীবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়|সঞ্জীবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়]]
## [[/বঙ্কিম-সমকালীন ঔপন্যাসিক গোষ্ঠী#তারকনাথ গঙ্গোপাধ্যায়|তারকনাথ গঙ্গোপাধ্যায়]]
## [[/বঙ্কিম-সমকালীন ঔপন্যাসিক গোষ্ঠী#প্রতাপচন্দ্র ঘোষ|প্রতাপচন্দ্র ঘোষ]]
## [[/বঙ্কিম-সমকালীন ঔপন্যাসিক গোষ্ঠী#স্বর্ণকুমারী দেবী|স্বর্ণকুমারী দেবী]]
## [[/বঙ্কিম-সমকালীন ঔপন্যাসিক গোষ্ঠী#বঙ্কিমযুগের অন্যান্য ঔপন্যাসিক|বঙ্কিমযুগের অন্যান্য ঔপন্যাসিক]]
# [[/বিশ শতকের বাংলা উপন্যাস|বিশ শতকের বাংলা উপন্যাস]]
# [[/প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়ের উপন্যাস|প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়ের উপন্যাস]]
# [[/শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের উপন্যাস|শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের উপন্যাস]]
# [[/শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ছোটোগল্প|শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ছোটোগল্প]]
# [[/বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়|বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়]]
# [[/তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়|তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়]]
# [[/মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়|মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়]]
# [[/বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায়|বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায়]]
# [[/দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী যুগের ছোটোগল্প ও উপন্যাস|দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী যুগের ছোটোগল্প ও উপন্যাস]]
## [[/দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী যুগের ছোটোগল্প ও উপন্যাস#হৃদয়বৃত্তিমূলক কথাসাহিত্য|হৃদয়বৃত্তিমূলক কথাসাহিত্য]]
## [[/দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী যুগের ছোটোগল্প ও উপন্যাস#চিন্তামূলক মননশীল কথাসাহিত্য|চিন্তামূলক মননশীল কথাসাহিত্য]]
## [[/দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী যুগের ছোটোগল্প ও উপন্যাস#বিকৃত-চিন্তামূলক বিদ্রোহাত্মক কথাসাহিত্য|বিকৃত-চিন্তামূলক বিদ্রোহাত্মক কথাসাহিত্য]]
## [[/দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী যুগের ছোটোগল্প ও উপন্যাস#বাস্তববুদ্ধিমূলক মানবিক কথাসাহিত্য|বাস্তববুদ্ধিমূলক মানবিক কথাসাহিত্য]]
## [[/দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী যুগের ছোটোগল্প ও উপন্যাস#কৌতুকরসাত্মক কথাসাহিত্য|কৌতুকরসাত্মক কথাসাহিত্য]]
=== পর্ব ৩: বাংলা নাটক ===
# [[/আধুনিক বাংলা নাটকের উদ্ভব|আধুনিক বাংলা নাটকের উদ্ভব]]
## [[/আধুনিক বাংলা নাটকের উদ্ভব#যাত্রার আদিরূপ|যাত্রার আদিরূপ]]
## [[/আধুনিক বাংলা নাটকের উদ্ভব#মধ্যযুগে নাট্যরস পরিবেশনের প্রয়াস|মধ্যযুগে নাট্যরস পরিবেশনের প্রয়াস]]
## [[/আধুনিক বাংলা নাটকের উদ্ভব#যাত্রা|যাত্রা]]
## [[/আধুনিক বাংলা নাটকের উদ্ভব#নতুন যাত্রাপদ্ধতি ও গীতাভিনয়|নতুন যাত্রাপদ্ধতি ও গীতাভিনয়]]
## [[/আধুনিক বাংলা নাটকের উদ্ভব#যাত্রাপালা এবং মির্যাকল প্লে ও মর্যালিটি প্লে|যাত্রাপালা এবং মির্যাকল প্লে ও মর্যালিটি প্লে]]
## [[/আধুনিক বাংলা নাটকের উদ্ভব#ইংরেজি নাট্যশালার আদর্শ ও বাংলা নাটক|ইংরেজি নাট্যশালার আদর্শ ও বাংলা নাটক]]
# [[/নাট্যশালার ইতিহাস|বাংলা নাট্যশালার ইতিহাস]]
# [[/সাধারণ রঙ্গালয় প্রতিষ্ঠার পূর্ববর্তী নাটক|সাধারণ রঙ্গালয় প্রতিষ্ঠার পূর্ববর্তী নাটক]]
# [[/রামনারায়ণ তর্করত্ন|রামনারায়ণ তর্করত্ন]]
## [[/রামনারায়ণ তর্করত্ন#কুলীনকুলসর্বস্ব|''কুলীনকুলসর্বস্ব'']]
## [[/রামনারায়ণ তর্করত্ন#অন্যান্য নাটক|অন্যান্য নাটক]]
## [[/রামনারায়ণ তর্করত্ন#মূল্যায়ন|মূল্যায়ন]]
# [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের নাট্যসাহিত্য|মাইকেল মধুসূদন দত্ত]]
## [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের নাট্যসাহিত্য#প্রাক্-মধুসূদন যুগের বাংলা নাটক ও মধুসূদন|প্রাক্-মধুসূদন যুগের বাংলা নাটক ও মধুসূদন]]
## [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের নাট্যসাহিত্য#পৌরাণিক নাটক|পৌরাণিক নাটক]]
### [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের নাট্যসাহিত্য#''শর্মিষ্ঠা''|''শর্মিষ্ঠা'']]
### [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের নাট্যসাহিত্য#''পদ্মাবতী''|''পদ্মাবতী'']]
## [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের নাট্যসাহিত্য#ঐতিহাসিক নাটক: ট্র্যাজেডি|ঐতিহাসিক নাটক: ট্র্যাজেডি]]
### [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের নাট্যসাহিত্য#''কৃষ্ণকুমারী''|''কৃষ্ণকুমারী'']]
## [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের নাট্যসাহিত্য#প্রহসন|প্রহসন: ''একেই কি বলে সভ্যতা'' ও ''বুড়ো শালিকের ঘাড়ে রোঁ'']]
## [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের নাট্যসাহিত্য#প্রহসন|অন্যান্য নাটক: ''মায়াকানন'' ও ''বিষ না ধনুর্গুণ'']]
## [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের নাট্যসাহিত্য#বাংলা নাটকের ইতিহাসে মাইকেল মধুসূদন দত্তের স্থান|বাংলা নাটকের ইতিহাসে মাইকেল মধুসূদন দত্তের স্থান]]
# [[/দীনবন্ধু মিত্র|দীনবন্ধু মিত্র]]
## [[/দীনবন্ধু মিত্র#সামাজিক নাটক|সামাজিক নাটক]]
### [[/দীনবন্ধু মিত্র#নীলদর্পণ|''নীলদর্পণ'']]
#### [[/দীনবন্ধু মিত্র#নীল বিদ্রোহ ও নীলদর্পণ নাটক|নীল বিদ্রোহ ও ''নীলদর্পণ'' নাটক]]
#### [[/দীনবন্ধু মিত্র#নীলদর্পণ নাটকের সংক্ষিপ্ত কাহিনি|''নীলদর্পণ'' নাটকের সংক্ষিপ্ত কাহিনি]]
#### [[/দীনবন্ধু মিত্র#সমালোচনা|সমালোচনা]]
## [[/দীনবন্ধু মিত্র#অন্যান্য নাটক|অন্যান্য নাটক]]
### [[/দীনবন্ধু মিত্র#প্রহসন|প্রহসন]]
#### [[/দীনবন্ধু মিত্র#সধবার একাদশী ও নিমচাঁদ চরিত্র|''সধবার একাদশী'' ও নিমচাঁদ চরিত্র]]
## [[/দীনবন্ধু মিত্র#বাংলা নাট্যসাহিত্যে দীনবন্ধু মিত্রের অবদান|বাংলা নাট্যসাহিত্যে দীনবন্ধু মিত্রের অবদান]]
# [[/মনোমোহন বসু|মনোমোহন বসু]]
# [[/জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর|জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর]]
## [[/জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর#জ্যোতিরিন্দ্রনাথের ঐতিহাসিক নাটক|ঐতিহাসিক নাটক]]
## [[/জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর#জ্যোতিরিন্দ্রনাথের প্রহসন|প্রহসন]]
## [[/জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর#জ্যোতিরিন্দ্রনাথের অনুবাদ নাটক|অনুবাদ নাটক]]
# [[/উপেন্দ্রনাথ দাস|উপেন্দ্রনাথ দাস]]
# [[/রাজকৃষ্ণ রায়|রাজকৃষ্ণ রায়]]
# [[/গিরিশচন্দ্র ঘোষ|গিরিশচন্দ্র ঘোষ]]
# [[/অমৃতলাল বসু|অমৃতলাল বসু]]
# [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়|দ্বিজেন্দ্রলাল রায়]]
## [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#প্রহসন|প্রহসন]]
### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#কল্কি অবতার|''কল্কি অবতার'']]
### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#বিরহ|''বিরহ'']]
### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#ত্র্যহস্পর্শ|''ত্র্যহস্পর্শ'']]
### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#প্রায়শ্চিত্ত|''প্রায়শ্চিত্ত'']]
### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#পুনর্জন্ম|''পুনর্জন্ম'']]
### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#আনন্দবিদায়|''আনন্দবিদায়'']]
## [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#পৌরাণিক নাটক|পৌরাণিক নাটক]]
### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#পাষাণী|''পাষাণী'']]
### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#সীতা|''সীতা'']]
### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#ভীষ্ম|''ভীষ্ম'']]
## [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#সামাজিক নাটক|সামাজিক নাটক]]
### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#পরপারে|''পরপারে'']]
### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#বঙ্গনারী|''বঙ্গনারী'']]
## [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#অপেরা|অপেরা]]
### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#সোরাব-রুস্তম|''সোরাব-রুস্তম'']]
## [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#ঐতিহাসিক নাটক|ঐতিহাসিক নাটক]]
### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#রাজপুত ইতিহাস-নির্ভর ঐতিহাসিক নাটক|রাজপুত ইতিহাস-নির্ভর ঐতিহাসিক নাটক]]
#### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#তারাবাঈ|''তারাবাঈ'']]
#### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#রাণা প্রতাপ সিংহ|''রাণা প্রতাপ সিংহ'']]
#### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#দুর্গাদাস|''দুর্গাদাস'']]
#### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#মেবার পতন|''মেবার পতন'']]
### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#অন্যান্য ঐতিহাসিক নাটক|অন্যান্য ঐতিহাসিক নাটক]]
#### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#নূরজাহান|''নূরজাহান'']]
#### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#সাজাহান|''সাজাহান'']]
#### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#চন্দ্রগুপ্ত|''চন্দ্রগুপ্ত'']]
#### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#সিংহল বিজয়|''সিংহল বিজয়'']]
## [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#দ্বিজেন্দ্রলালের নাটকে সংলাপের ভাষা|দ্বিজেন্দ্রলালের নাটকে সংলাপের ভাষা]]
## [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#মূল্যায়ন|মূল্যায়ন]]
# [[/ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ|ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ]]
## [[/ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ#অপেরা বা গীতিমুখর নাটক|অপেরা বা গীতিমুখর নাটক]]
## [[/ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ#পৌরাণিক নাটক|পৌরাণিক নাটক]]
## [[/ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ#কাল্পনিক নাটক|কাল্পনিক নাটক]]
## [[/ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ#অপেরা বা গীতিমুখর নাটক|অপেরা বা গীতিমুখর নাটক]]
## [[/ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ#ঐতিহাসিক নাটক|ঐতিহাসিক নাটক]]
## [[/ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ#মূল্যায়ন|মূল্যায়ন]]
# [[/বিশ শতকের বাংলা নাটক|বিশ শতকের বাংলা নাটক]]
## [[/বিশ শতকের বাংলা নাটক#অপরেশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়|অপরেশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়]]
## [[/বিশ শতকের বাংলা নাটক#গতানুগতিক ধারার নাট্যকারগণ|গতানুগতিক ধারার নাট্যকারগণ]]
## [[/বিশ শতকের বাংলা নাটক#যোগেশচন্দ্র চৌধুরী|যোগেশচন্দ্র চৌধুরী]]
## [[/বিশ শতকের বাংলা নাটক#মন্মথ রায়|মন্মথ রায়]]
## [[/বিশ শতকের বাংলা নাটক#শচীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত|শচীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত]]
## [[/বিশ শতকের বাংলা নাটক#বিধায়ক ভট্টাচার্য|বিধায়ক ভট্টাচার্য]]
## [[/বিশ শতকের বাংলা নাটক#প্রমথনাথ বিশী|প্রমথনাথ বিশী]]
## [[/বিশ শতকের বাংলা নাটক#জীবনী নাটক|জীবনী নাটক]]
## [[/বিশ শতকের বাংলা নাটক#নবনাট্য আন্দোলন|নবনাট্য আন্দোলন]]
## [[/বিশ শতকের বাংলা নাটক#বিদেশি নাটকের বঙ্গীকরণ|বিদেশি নাটকের বঙ্গীকরণ]]
# [[/পৌরাণিক নাটক|বাংলা পৌরাণিক নাটকের বিকাশ]]
## [[/পৌরাণিক নাটক#প্রথম পর্বের বাংলা পৌরাণিক নাটক|প্রথম পর্ব: হরচন্দ্র ঘোষ, কালীপ্রসন্ন সিংহ, মাইকেল মধুসূদন দত্ত ও রামনারায়ণ তর্করত্ন]]
## [[/পৌরাণিক নাটক#দ্বিতীয় পর্বের বাংলা পৌরাণিক নাটক|দ্বিতীয় পর্ব: মনোমোহন বসু, রাজকৃষ্ণ রায়, অতুলকৃষ্ণ মিত্র ও গিরিশচন্দ্র ঘোষ]]
## [[/পৌরাণিক নাটক#তৃতীয় পর্বের বাংলা পৌরাণিক নাটক|তৃতীয় পর্ব: দ্বিজেন্দ্রলাল রায়, ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ, অপরেশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়, ভূপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, যোগেশচন্দ্র চৌধুরী, মন্মথ রায় ও মহেন্দ্র গুপ্ত]]
## [[/পৌরাণিক নাটক#বাংলা পৌরাণিক নাটকের পরিণতি|পরিণতি]]
# [[/ঐতিহাসিক নাটক|বাংলা ঐতিহাসিক নাটকের বিকাশ]]
## [[/ঐতিহাসিক নাটক#প্রথম পর্ব: মাইকেল মধুসূদন দত্ত|প্রথম পর্ব: মাইকেল মধুসূদন দত্ত]]
## [[/ঐতিহাসিক নাটক#দ্বিতীয় পর্ব: জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর, ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ, দ্বিজেন্দ্রলাল রায়, গিরিশচন্দ্র ঘোষ ও অন্যান্য নাট্যকার|দ্বিতীয় পর্ব: জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর, ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ, দ্বিজেন্দ্রলাল রায়, গিরিশচন্দ্র ঘোষ ও অন্যান্য নাট্যকার]]
## [[/ঐতিহাসিক নাটক#তৃতীয় পর্ব: যোগেশচন্দ্র চৌধুরী ও অন্যান্য নাট্যকার|তৃতীয় পর্ব: যোগেশচন্দ্র চৌধুরী ও অন্যান্য নাট্যকার]]
# [[/সামাজিক ও পারিবারিক নাটক|বাংলা সামাজিক ও পারিবারিক নাটকের বিকাশ]]
## [[/সামাজিক ও পারিবারিক নাটক#প্রথম পর্বের সামাজিক নাটক|প্রথম পর্বের সামাজিক নাটক: রামনারায়ণ তর্করত্ন, উমেশচন্দ্র মিত্র, দীনবন্ধু মিত্র ও অন্যান্য]]
## [[/সামাজিক ও পারিবারিক নাটক#দ্বিতীয় পর্বের সামাজিক ও পারিবারিক নাটক|দ্বিতীয় পর্বের সামাজিক ও পারিবারিক নাটক: উপেন্দ্রনাথ দাস, গিরিশচন্দ্র ঘোষ, দ্বিজেন্দ্রলাল রায় ও অন্যান্য]]
## [[/সামাজিক ও পারিবারিক নাটক#তৃতীয় পর্বের পারিবারিক নাটক|তৃতীয় পর্বের পারিবারিক নাটক: শচীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত, জলধর চট্টোপাধ্যায়, মহেন্দ্র গুপ্ত ও বিধায়ক ভট্টাচার্য]]
## [[/সামাজিক ও পারিবারিক নাটক#চতুর্থ পর্বের আধুনিক সমাজ-সচেতন নাটক|চতুর্থ পর্বের আধুনিক সমাজ-সচেতন নাটক: বিজন ভট্টাচার্য, তুলসী লাহিড়ী, সলিল সেন ও অন্যান্য]]
# [[/প্রহসন|বাংলা প্রহসনের বিকাশ]]
## [[/প্রহসন#প্রথম পর্বের প্রহসন: রামনারায়ণ তর্করত্ন, কালীপ্রসন্ন সিংহ, মাইকেল মধুসূদন দত্ত, দীনবন্ধু মিত্র ও জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর|প্রথম পর্বের প্রহসন: রামনারায়ণ তর্করত্ন, কালীপ্রসন্ন সিংহ, মাইকেল মধুসূদন দত্ত, দীনবন্ধু মিত্র ও জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর]]
## [[/প্রহসন#দ্বিতীয় পর্বের প্রহসন: গিরিশচন্দ্র ঘোষ, অমৃতলাল বসু, দ্বিজেন্দ্রলাল রায়, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর|দ্বিতীয় পর্বের প্রহসন: গিরিশচন্দ্র ঘোষ, অমৃতলাল বসু, দ্বিজেন্দ্রলাল রায়, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর]]
## [[/প্রহসন#তৃতীয় পর্বের প্রহসন: রবীন্দ্রনাথ মৈত্র, প্রমথনাথ বিশী, বিধায়ক ভট্টাচার্য প্রমুখ|তৃতীয় পর্বের প্রহসন: রবীন্দ্রনাথ মৈত্র, প্রমথনাথ বিশী, বিধায়ক ভট্টাচার্য প্রমুখ]]
=== পর্ব ৪: আধুনিক বাংলা কাব্যসাহিত্য ===
# [[/কবিওয়ালা|কবিওয়ালা]]
# [[/ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত|ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত]]
# [[/মদনমোহন তর্কালঙ্কার|মদনমোহন তর্কালঙ্কার]]
# [[/উনিশ শতকের মহাকাব্য ও আখ্যানকাব্য|উনিশ শতকের বাংলা মহাকাব্য ও আখ্যানকাব্য]]
## [[/উনিশ শতকের মহাকাব্য ও আখ্যানকাব্য#আখ্যানকাব্যের বৈশিষ্ট্য|আখ্যানকাব্যের বৈশিষ্ট্য]]
## [[/উনিশ শতকের মহাকাব্য ও আখ্যানকাব্য#মহাকাব্যের বৈশিষ্ট্য|মহাকাব্যের বৈশিষ্ট্য]]
### [[/উনিশ শতকের মহাকাব্য ও আখ্যানকাব্য#মাইকেল মধুসূদন দত্তের মহাকাব্য|মাইকেল মধুসূদন দত্তের মহাকাব্য]]
### [[/উনিশ শতকের মহাকাব্য ও আখ্যানকাব্য#হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের মহাকাব্য ও আখ্যানকাব্য|হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের মহাকাব্য ও আখ্যানকাব্য]]
### [[/উনিশ শতকের মহাকাব্য ও আখ্যানকাব্য#নবীনচন্দ্র সেনের মহাকাব্য ও আখ্যানকাব্য|নবীনচন্দ্র সেনের মহাকাব্য ও আখ্যানকাব্য]]
## [[/উনিশ শতকের মহাকাব্য ও আখ্যানকাব্য#বাংলা মহাকাব্যের পরিণতি|বাংলা মহাকাব্যের পরিণতি]]
## [[/উনিশ শতকের মহাকাব্য ও আখ্যানকাব্য#বাংলা আখ্যানকাব্যের পরিণতি|বাংলা আখ্যানকাব্যের পরিণতি]]
# [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের কাব্যসাহিত্য|মাইকেল মধুসূদন দত্ত]]
## [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের কাব্যসাহিত্য#কাব্যসাহিত্য|কাব্যসাহিত্য]]
### [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের কাব্যসাহিত্য#তিলোত্তমাসম্ভব কাব্য|''তিলোত্তমাসম্ভব কাব্য'']]
### [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের কাব্যসাহিত্য#মেঘনাদবধ কাব্য|''মেঘনাদবধ কাব্য'']]
### [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের কাব্যসাহিত্য#ব্রজাঙ্গনা কাব্য|''ব্রজাঙ্গনা কাব্য'']]
### [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের কাব্যসাহিত্য#বীরাঙ্গনা কাব্য|''বীরাঙ্গনা কাব্য'']]
### [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের কাব্যসাহিত্য#চতুর্দশপদী কবিতাবলী|''চতুর্দশপদী কবিতাবলী'']]
## [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের কাব্যসাহিত্য#মূল্যায়ন|মূল্যায়ন]]
# [[/হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়|হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়]]
# [[/নবীনচন্দ্র সেন|নবীনচন্দ্র সেন]]
# [[/বিহারীলাল চক্রবর্তী|বিহারীলাল চক্রবর্তী]]
## [[/বিহারীলাল চক্রবর্তী#রচনাবলি|রচনাবলি]]
## [[/বিহারীলাল চক্রবর্তী#কবিপ্রতিভার বৈশিষ্ট্য|কবিপ্রতিভার বৈশিষ্ট্য]]
## [[/বিহারীলাল চক্রবর্তী#শৈল্পিক ত্রুটি|শৈল্পিক ত্রুটি]]
## [[/বিহারীলাল চক্রবর্তী#বিশুদ্ধ গীতিকবিতার জনক বিহারীলাল|বিশুদ্ধ গীতিকবিতার জনক বিহারীলাল]]
# [[/আখ্যানকাব্য ও গীতিকাব্যের ধারা ও পরিণাম|বাংলা আখ্যানকাব্য ও গীতিকাব্যের ধারা ও পরিণাম]]
# [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক কবিগণ|রবীন্দ্র-সমসাময়িক কবিগণ]]
## [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক কবিগণ#রবীন্দ্র-পরিমণ্ডলের অন্তর্ভুক্ত কবিগণ|রবীন্দ্র-পরিমণ্ডলের অন্তর্ভুক্ত কবিগণ]]
## [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক কবিগণ#রবীন্দ্র-প্রভাবিক কবিগোষ্ঠী|রবীন্দ্র-প্রভাবিক কবিগোষ্ঠী]]
### [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক কবিগণ#দ্বিজেন্দ্রলাল রায়|দ্বিজেন্দ্রলাল রায়]]
### [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক কবিগণ#সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত|সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত]]
### [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক কবিগণ#করুণানিধন বন্দ্যোপাধ্যায়|করুণানিধন বন্দ্যোপাধ্যায়]]
### [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক কবিগণ#যতীন্দ্রমোহন বাগচি|যতীন্দ্রমোহন বাগচি]]
### [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক কবিগণ#কুমুদরঞ্জন মল্লিক, কালিদাস রায় ও কিরণধন চট্টোপাধ্যায়|কুমুদরঞ্জন মল্লিক, কালিদাস রায় ও কিরণধন চট্টোপাধ্যায়]]
## [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক কবিগণ#রবীন্দ্রবিরোধী কবিগোষ্ঠী|রবীন্দ্রবিরোধী কবিগোষ্ঠী]]
### [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক কবিগণ#মোহিতলাল মজুমদার|মোহিতলাল মজুমদার]]
### [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক কবিগণ#যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত|যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত]]
### [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক কবিগণ#কাজী নজরুল ইসলাম|কাজী নজরুল ইসলাম]]
# [[/উনিশ শতকের মহিলা কবিগণ|উনিশ শতকের মহিলা কবিগণ]]
## [[/উনিশ শতকের মহিলা কবিগণ#মোক্ষদায়িনী মুখোপাধ্যায়|মোক্ষদায়িনী মুখোপাধ্যায়]]
## [[/উনিশ শতকের মহিলা কবিগণ#স্বর্ণকুমারী দেবী|স্বর্ণকুমারী দেবী]]
## [[/উনিশ শতকের মহিলা কবিগণ#গিরীন্দ্রমোহিনী দাসী|গিরীন্দ্রমোহিনী দাসী]]
## [[/উনিশ শতকের মহিলা কবিগণ#মানকুমারী বসু|মানকুমারী বসু]]
## [[/উনিশ শতকের মহিলা কবিগণ#কামিনী রায়|কামিনী রায়]]
## [[/উনিশ শতকের মহিলা কবিগণ#সরোজকুমারী দেবী|সরোজকুমারী দেবী]]
## [[/উনিশ শতকের মহিলা কবিগণ#অন্যান্য মহিলা কবিগণ|অন্যান্য মহিলা কবিগণ]]
# [[/রবীন্দ্র-পরবর্তী বাংলা কবিতা|রবীন্দ্র-পরবর্তী বাংলা কবিতা]]
## [[/রবীন্দ্র-পরবর্তী বাংলা কবিতা#বুদ্ধদেব বসু|বুদ্ধদেব বসু]]
## [[/রবীন্দ্র-পরবর্তী বাংলা কবিতা#জীবনানন্দ দাশ|জীবনানন্দ দাশ]]
## [[/রবীন্দ্র-পরবর্তী বাংলা কবিতা#অজিত দত্ত|অজিত দত্ত]]
## [[/রবীন্দ্র-পরবর্তী বাংলা কবিতা#সুধীন্দ্রনাথ দত্ত|সুধীন্দ্রনাথ দত্ত]]
## [[/রবীন্দ্র-পরবর্তী বাংলা কবিতা#বিষ্ণু দে|বিষ্ণু দে]]
## [[/রবীন্দ্র-পরবর্তী বাংলা কবিতা#প্রেমেন্দ্র মিত্র|প্রেমেন্দ্র মিত্র]]
## [[/রবীন্দ্র-পরবর্তী বাংলা কবিতা#অমিয় চক্রবর্তী|অমিয় চক্রবর্তী]]
## [[/রবীন্দ্র-পরবর্তী বাংলা কবিতা#সমর সেন|সমর সেন]]
## [[/রবীন্দ্র-পরবর্তী বাংলা কবিতা#সুকান্ত ভট্টাচার্য|সুকান্ত ভট্টাচার্য]]
## [[/রবীন্দ্র-পরবর্তী বাংলা কবিতা#অন্যান্য কবিগণ|অন্যান্য কবিগণ]]
=== পর্ব ৫: রবীন্দ্রসাহিত্য ===
# [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতা|কবিতা]]
# [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক|নাটক]]
## [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#রবীন্দ্রনাথের গীতিনাট্য: বাল্মীকিপ্রতিভা, কালমৃগয়া ও মায়ার খেলা|রবীন্দ্রনাথের গীতিনাট্য: ''বাল্মীকিপ্রতিভা'', ''কালমৃগয়া'' ও ''মায়ার খেলা'']]
## [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#রবীন্দ্রনাথের কাব্যনাট্য|কাব্যনাট্য]]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#প্রকৃতির প্রতিশোধ|''প্রকৃতির প্রতিশোধ'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#চিত্রাঙ্গদা|''চিত্রাঙ্গদা'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#বিদায় অভিশাপ|''বিদায় অভিশাপ'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#কাহিনী গ্রন্থের কাব্যনাট্যসমূহ|''কাহিনী'' গ্রন্থের কাব্যনাট্যসমূহ: "গান্ধারীর আবেদন", "সতী", "নরকবাস", "লক্ষ্মীর পরীক্ষা" ও "কর্ণকুন্তীসংবাদ"]]
## [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#রবীন্দ্রনাথের প্রথানুগ নাটক|প্রথানুগ নাটক]]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#রাজা ও রানী ও তপতী|''রাজা ও রানী'' ও ''তপতী'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#বিসর্জন|''বিসর্জন'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#মালিনী|''মালিনী'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#প্রায়শ্চিত্ত ও পরিত্রাণ|''প্রায়শ্চিত্ত'' ও ''পরিত্রাণ'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#রবীন্দ্রনাথের পারিবারিক নাটক: গৃহপ্রবেশ ও শোধবোধ|রবীন্দ্রনাথের পারিবারিক নাটক: ''গৃহপ্রবেশ'' ও ''শোধবোধ'']]
## [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#রবীন্দ্রনাথের প্রহসন বা কৌতুকনাট্য|প্রহসন বা কৌতুকনাট্য]]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#গোড়ায় গলদ ও শেষরক্ষা|''গোড়ায় গলদ'' ও ''শেষরক্ষা'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#বৈকুণ্ঠের খাতা|''বৈকুণ্ঠের খাতা'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#হাস্যকৌতুক ও ব্যঙ্গকৌতুক|''হাস্যকৌতুক'' ও ''ব্যঙ্গকৌতুক'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#চিরকুমার সভা|''চিরকুমার সভা'']]
## [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#রবীন্দ্রনাথের রূপক-সাংকেতিক নাটক|রূপক-সাংকেতিক নাটক]]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#শারদোৎসব ও ঋণশোধ|''শারদোৎসব'' ও ''ঋণশোধ'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#রাজা ও অরূপরতন|''রাজা'' ও ''অরূপরতন'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#অচলায়তন ও গুরু|''অচলায়তন'' ও ''গুরু'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#ডাকঘর|''ডাকঘর'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#ফাল্গুনী|''ফাল্গুনী'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#মুক্তধারা|''মুক্তধারা'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#রক্তকরবী|''রক্তকরবী'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#রথের রশি ও তাসের দেশ|''রথের রশি'' ও ''তাসের দেশ'']]
# [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উপন্যাস|উপন্যাস]]
# [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছোটোগল্প|ছোটোগল্প]]
# [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রবন্ধসাহিত্য|প্রবন্ধসাহিত্য]]
## [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রবন্ধসাহিত্য#প্রবন্ধসাহিত্যের শ্রেণিবিভাগ|প্রবন্ধসাহিত্যের শ্রেণিবিভাগ]]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রবন্ধসাহিত্য#প্রবন্ধসাহিত্যের শ্রেণিবিভাগ|প্রবন্ধসাহিত্যের শ্রেণিবিভাগ]]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রবন্ধসাহিত্য#সমালোচনা, সাহিত্যতত্ত্ব ও সাহিত্য আলোচনা-বিষয়ক প্রবন্ধ|সমালোচনা, সাহিত্যতত্ত্ব ও সাহিত্য আলোচনা-বিষয়ক প্রবন্ধ]]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রবন্ধসাহিত্য#শিক্ষা, সমাজ ও রাজনীতি-বিষয়ক প্রবন্ধ|শিক্ষা, সমাজ ও রাজনীতি-বিষয়ক প্রবন্ধ]]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রবন্ধসাহিত্য#ধর্ম, দর্শন ও অধ্যাত্ম-বিষয়ক প্রবন্ধ|ধর্ম, দর্শন ও অধ্যাত্ম-বিষয়ক প্রবন্ধ]]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রবন্ধসাহিত্য#ভ্রমণসাহিত্য|ভ্রমণসাহিত্য]]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রবন্ধসাহিত্য#পত্রসাহিত্য|পত্রসাহিত্য]]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রবন্ধসাহিত্য#আত্মকথা ও জীবনী|আত্মকথা ও জীবনী]]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রবন্ধসাহিত্য#আবেগধর্মী প্রবন্ধ|আবেগধর্মী প্রবন্ধ]]
## [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রবন্ধসাহিত্য#মূল্যায়ন|মূল্যায়ন]]
# [[/রবীন্দ্রসংগীত|রবীন্দ্রসংগীত]]
{{বিষয়|বাংলা সাহিত্য}}
{{বর্ণানুক্রমিক|আ}}
{{বিষয়|সাহিত্য}}
{{বইয়ের বিষয়শ্রেণী}}
nqfg10zfhzlyper48h8aide4dn3d3ze
রন্ধনপ্রণালী:চিঁড়ের পায়েস
104
23894
84564
84357
2025-06-17T01:01:51Z
Mehedi Abedin
7113
84564
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = মিষ্টান্ন
| পরিবেশন = ৫–৬ জন
| তৈরির সময় = ১ ঘণ্টা ২০ মিনিট
| কষ্টসাধ্য = 2
| খাদ্য শক্তি = উচ্চ
| টীকা = গ্রামীণ ও ঐতিহ্যবাহী বাঙালি মিষ্টান্ন, যা বিশেষ উপলক্ষে বা অতিথি আপ্যায়নে পরিবেশিত হয়।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''চিঁড়ের পায়েস'''</big></center>
চিঁড়ের পায়েস একটি সহজপাচ্য, সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর মিষ্টান্ন, যা বাংলার ঘরে ঘরে বিশেষ দিন বা পূজা পার্বণে রান্না করা হয়। দুধ, চিঁড়া এবং গুড়ের মিশেলে তৈরি এই মিষ্টান্নটি প্রাচীনকাল থেকেই জনপ্রিয়। এর মোলায়েম স্বাদ এবং স্নিগ্ধ গন্ধ মন ছুঁয়ে যায়। বিশেষ করে শীতকালে নতুন খেজুর গুড় দিয়ে তৈরি এই পায়েস আলাদা স্বাদ এনে দেয়।
== উপকরণ ==
{|class="wikitable"
! নাম !! পরিমাণ
|-
| পাতলা চিঁড়া || ১ কাপ
|-
| ঘন দুধ || ১ লিটার
|-
| খেজুর গুড় (বা চিনির বিকল্পে) || ১/২ কাপ বা স্বাদমতো
|-
| এলাচ || ২–৩টি
|-
| তেজপাতা || ১টি
|-
| কিসমিস || ২ টেবিল চামচ
|-
| কাজুবাদাম কুচি || ২ টেবিল চামচ
|-
| ঘি || ১ টেবিল চামচ
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# চিঁড়া হালকা গরম জল দিয়ে ধুয়ে ১০ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন। পরে ছেঁকে জল ঝরিয়ে নিন।
# একটি পাত্রে দুধ জ্বাল দিয়ে ঘন করুন। মাঝে মাঝে নাড়তে থাকুন যাতে নিচে লেগে না যায়।
# দুধ কিছুটা কমে এলে তাতে তেজপাতা ও এলাচ দিন এবং নাড়তে থাকুন।
# এবার ভেজানো চিঁড়া দিয়ে দিন। ধীরে ধীরে নেড়ে দিন যাতে চিঁড়া গেঁথে না যায়।
# চিঁড়া ভালোভাবে সিদ্ধ হয়ে আসলে কিশমিশ ও কাজুবাদাম দিন। চাইলে সামান্য ঘি মিশিয়ে আরও ঘ্রাণ বাড়ানো যায়।
# শেষে গুড় ধীরে ধীরে দিয়ে দিন এবং একটানা নাড়তে থাকুন। গুড় দেবার পর আর বেশি ফুটাবেন না, এতে দুধ ছুটে যেতে পারে।
# মিশ্রণ ঘন হয়ে এলে চুলা থেকে নামিয়ে দিন।
== পরিবেশন ==
চিঁড়ের পায়েস ঠান্ডা বা গরম উভয়ভাবেই খাওয়া যায়। শীতকালে খেজুর গুড়ের ঘ্রাণে এই পায়েসের স্বাদ দ্বিগুণ হয়। এটি বিশেষ করে অতিথি আপ্যায়নে বা পূজার নৈবেদ্যতেও পরিবেশিত হয়।
== পরামর্শ ==
* ঘন দুধ ব্যবহার করলে স্বাদ আরও সমৃদ্ধ হয়।
* চাইলে নারকেল কুচি বা ক্ষীর মিশিয়ে নতুন স্বাদ তৈরি করা যায়।
* ডায়াবেটিকদের জন্য গুড়ের বদলে চিনির পরিমাণ কমিয়ে স্বল্পমাত্রায় খাওয়া যেতে পারে।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:মিষ্টান্ন]]
[[Category:বাংলাদেশী মিষ্টি খাবার]]
[[Category:গ্রামীণ খাবার]]
[[Category:ঐতিহ্যবাহী রেসিপি]]
eavf1tmkeesb5n8g3wc6po71xb4qyev
84565
84564
2025-06-17T01:02:19Z
Mehedi Abedin
7113
84565
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = মিষ্টান্ন
| পরিবেশন = ৫–৬ জন
| তৈরির সময় = ১ ঘণ্টা ২০ মিনিট
| কষ্টসাধ্য = 2
| খাদ্য শক্তি = উচ্চ
| টীকা = গ্রামীণ ও ঐতিহ্যবাহী বাঙালি মিষ্টান্ন, যা বিশেষ উপলক্ষে বা অতিথি আপ্যায়নে পরিবেশিত হয়।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''চিঁড়ের পায়েস'''</big></center>
চিঁড়ের পায়েস একটি সহজপাচ্য, সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর মিষ্টান্ন, যা বাংলার ঘরে ঘরে বিশেষ দিন বা পূজা পার্বণে রান্না করা হয়। দুধ, চিঁড়া এবং গুড়ের মিশেলে তৈরি এই মিষ্টান্নটি প্রাচীনকাল থেকেই জনপ্রিয়। এর মোলায়েম স্বাদ এবং স্নিগ্ধ গন্ধ মন ছুঁয়ে যায়। বিশেষ করে শীতকালে নতুন খেজুর গুড় দিয়ে তৈরি এই পায়েস আলাদা স্বাদ এনে দেয়।
== উপকরণ ==
{|class="wikitable"
! নাম !! পরিমাণ
|-
| পাতলা চিঁড়া || ১ কাপ
|-
| ঘন দুধ || ১ লিটার
|-
| খেজুর গুড় (বা চিনির বিকল্পে) || ১/২ কাপ বা স্বাদমতো
|-
| এলাচ || ২–৩টি
|-
| তেজপাতা || ১টি
|-
| কিসমিস || ২ টেবিল চামচ
|-
| কাজুবাদাম কুচি || ২ টেবিল চামচ
|-
| ঘি || ১ টেবিল চামচ
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# চিঁড়া হালকা গরম জল দিয়ে ধুয়ে ১০ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন। পরে ছেঁকে জল ঝরিয়ে নিন।
# একটি পাত্রে দুধ জ্বাল দিয়ে ঘন করুন। মাঝে মাঝে নাড়তে থাকুন যাতে নিচে লেগে না যায়।
# দুধ কিছুটা কমে এলে তাতে তেজপাতা ও এলাচ দিন এবং নাড়তে থাকুন।
# এবার ভেজানো চিঁড়া দিয়ে দিন। ধীরে ধীরে নেড়ে দিন যাতে চিঁড়া গেঁথে না যায়।
# চিঁড়া ভালোভাবে সিদ্ধ হয়ে আসলে কিশমিশ ও কাজুবাদাম দিন। চাইলে সামান্য ঘি মিশিয়ে আরও ঘ্রাণ বাড়ানো যায়।
# শেষে গুড় ধীরে ধীরে দিয়ে দিন এবং একটানা নাড়তে থাকুন। গুড় দেবার পর আর বেশি ফুটাবেন না, এতে দুধ ছুটে যেতে পারে।
# মিশ্রণ ঘন হয়ে এলে চুলা থেকে নামিয়ে দিন।
== পরিবেশন ==
<span style=color:red;><center>'''ঠান্ডা বা গরম পরিবেশন করুন।'''</center></span>
== পরামর্শ ==
* ঘন দুধ ব্যবহার করলে স্বাদ আরও সমৃদ্ধ হয়।
* চাইলে নারকেল কুচি বা ক্ষীর মিশিয়ে নতুন স্বাদ তৈরি করা যায়।
* ডায়াবেটিকদের জন্য গুড়ের বদলে চিনির পরিমাণ কমিয়ে স্বল্পমাত্রায় খাওয়া যেতে পারে।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:মিষ্টান্ন]]
[[Category:বাংলাদেশী মিষ্টি খাবার]]
[[Category:গ্রামীণ খাবার]]
[[Category:ঐতিহ্যবাহী রেসিপি]]
jidjo3tcq53oxmp1q1bqgppou0fehrt
84566
84565
2025-06-17T01:02:27Z
Mehedi Abedin
7113
84566
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = মিষ্টান্ন
| পরিবেশন = ৫–৬ জন
| তৈরির সময় = ১ ঘণ্টা ২০ মিনিট
| কষ্টসাধ্য = 2
| খাদ্য শক্তি = উচ্চ
| টীকা = গ্রামীণ ও ঐতিহ্যবাহী বাঙালি মিষ্টান্ন, যা বিশেষ উপলক্ষে বা অতিথি আপ্যায়নে পরিবেশিত হয়।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''চিঁড়ের পায়েস'''</big></center>
চিঁড়ের পায়েস একটি সহজপাচ্য, সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর মিষ্টান্ন, যা বাংলার ঘরে ঘরে বিশেষ দিন বা পূজা পার্বণে রান্না করা হয়। দুধ, চিঁড়া এবং গুড়ের মিশেলে তৈরি এই মিষ্টান্নটি প্রাচীনকাল থেকেই জনপ্রিয়। এর মোলায়েম স্বাদ এবং স্নিগ্ধ গন্ধ মন ছুঁয়ে যায়। বিশেষ করে শীতকালে নতুন খেজুর গুড় দিয়ে তৈরি এই পায়েস আলাদা স্বাদ এনে দেয়।
== উপকরণ ==
{|class="wikitable"
! নাম !! পরিমাণ
|-
| পাতলা চিঁড়া || ১ কাপ
|-
| ঘন দুধ || ১ লিটার
|-
| খেজুর গুড় (বা চিনির বিকল্পে) || ১/২ কাপ বা স্বাদমতো
|-
| এলাচ || ২–৩টি
|-
| তেজপাতা || ১টি
|-
| কিসমিস || ২ টেবিল চামচ
|-
| কাজুবাদাম কুচি || ২ টেবিল চামচ
|-
| ঘি || ১ টেবিল চামচ
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# চিঁড়া হালকা গরম জল দিয়ে ধুয়ে ১০ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন। পরে ছেঁকে জল ঝরিয়ে নিন।
# একটি পাত্রে দুধ জ্বাল দিয়ে ঘন করুন। মাঝে মাঝে নাড়তে থাকুন যাতে নিচে লেগে না যায়।
# দুধ কিছুটা কমে এলে তাতে তেজপাতা ও এলাচ দিন এবং নাড়তে থাকুন।
# এবার ভেজানো চিঁড়া দিয়ে দিন। ধীরে ধীরে নেড়ে দিন যাতে চিঁড়া গেঁথে না যায়।
# চিঁড়া ভালোভাবে সিদ্ধ হয়ে আসলে কিশমিশ ও কাজুবাদাম দিন। চাইলে সামান্য ঘি মিশিয়ে আরও ঘ্রাণ বাড়ানো যায়।
# শেষে গুড় ধীরে ধীরে দিয়ে দিন এবং একটানা নাড়তে থাকুন। গুড় দেবার পর আর বেশি ফুটাবেন না, এতে দুধ ছুটে যেতে পারে।
# মিশ্রণ ঘন হয়ে এলে চুলা থেকে নামিয়ে দিন।
<span style=color:red;><center>'''ঠান্ডা বা গরম পরিবেশন করুন।'''</center></span>
== পরামর্শ ==
* ঘন দুধ ব্যবহার করলে স্বাদ আরও সমৃদ্ধ হয়।
* চাইলে নারকেল কুচি বা ক্ষীর মিশিয়ে নতুন স্বাদ তৈরি করা যায়।
* ডায়াবেটিকদের জন্য গুড়ের বদলে চিনির পরিমাণ কমিয়ে স্বল্পমাত্রায় খাওয়া যেতে পারে।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:মিষ্টান্ন]]
[[Category:বাংলাদেশী মিষ্টি খাবার]]
[[Category:গ্রামীণ খাবার]]
[[Category:ঐতিহ্যবাহী রেসিপি]]
lszbu2rno2kqp6at3teit132xftgtad
ব্যবহারকারী আলাপ:Md Nasir Uddin Biplob
3
24155
84617
76276
2025-06-17T02:12:57Z
Mehedi Abedin
7113
/* প্রতিযোগিতা সম্পর্কে */ নতুন অনুচ্ছেদ
84617
wikitext
text/x-wiki
== বাংলা উইকিবইয়ে স্বাগত ==
{{স্বাগত/২য় সংস্করণ}} ০৭:৪০, ১৫ মে ২০২৫ (ইউটিসি)
== প্রতিযোগিতা সম্পর্কে ==
[[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/প্রজনন তন্ত্র/নিজের জ্ঞান যাচাইয়ের উত্তরমালা]] পাতাটি একটু সাজিয়ে লিখতে হবে। উইকিবইয়ের ফরমেট অনুসরণ করে পাতাটি ঠিক করে জানালে গ্রহণ করে নিবো। [[ব্যবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:Mehedi Abedin|আলাপ]]) ০২:১২, ১৭ জুন ২০২৫ (ইউটিসি)
2yk5uopw83uvzyr27yw5wo09ixtvfsx
রন্ধনপ্রণালী:সজনে ডাল
104
24251
84561
84287
2025-06-17T00:59:59Z
Mehedi Abedin
7113
84561
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = প্রধান খাবার
| পরিবেশন = ৪–৫ জন
| তৈরির সময় = ৪৫ মিনিট
| কষ্টসাধ্য = 2
| খাদ্য শক্তি = মাঝারি
| টীকা = হালকা, সুস্বাদু এবং স্বাস্থ্যকর পদ, যা সজনে ডাঁটা ও মসুর ডালের সম্মিলনে গঠিত হয়। এটি গরম ভাতের সঙ্গে অসাধারণ লাগে।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''সজনে ডাল'''</big></center>
সজনে ডাল গ্রামীণ ও শহুরে উভয় রান্নাঘরেই অত্যন্ত পরিচিত ও জনপ্রিয় একটি খাদ্য। সজনে গাছের ডাঁটা পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ এবং মসুর ডালের সঙ্গে এটি এক অনন্য স্বাদের সংমিশ্রণ তৈরি করে। বসন্ত বা গ্রীষ্মকালে সজনে ডাঁটা বিশেষত খাওয়া হয়, যখন এটি সহজলভ্য থাকে। এটি একটি সস্তা, সহজ এবং শরীরের জন্য উপকারী একটি খাবার, যা প্রতিদিনের ঘরোয়া রান্নায়ও প্রাধান্য পায়।
== উপকরণ ==
{|class="wikitable"
! নাম !! পরিমাণ
|-
| মসুর ডাল || ১ কাপ
|-
| সজনে ডাঁটা || ৫–৬টি (৪–৫ ইঞ্চি করে কাটা)
|-
| পেঁয়াজ কুচি || ১/২ কাপ
|-
| আদা বাটা || ১ চা চামচ
|-
| রসুন কুচি || ১ চা চামচ
|-
| হলুদ গুঁড়া || ১/২ চা চামচ
|-
| শুকনা মরিচ || ২–৩টি
|-
| লবণ || স্বাদমতো
|-
| সরিষার তেল || ২ টেবিল চামচ
|-
| ধনে পাতা কুচি || ২ টেবিল চামচ
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# প্রথমে মসুর ডাল ভালোভাবে ধুয়ে নিন এবং ৩ কাপ পানিতে সিদ্ধ করে নরম করে ফেলুন।
# সজনে ডাঁটা ছুলে ৪–৫ ইঞ্চি দৈর্ঘ্যে কেটে রাখুন।
# ডাল সেদ্ধ হলে তাতে সজনে ডাঁটা, হলুদ গুঁড়া, লবণ ও আধা কাপ পানি দিয়ে ঢেকে মাঝারি আঁচে ১০–১২ মিনিট রান্না করুন।
# অন্যদিকে একটি কড়াইয়ে সরিষার তেল গরম করে তাতে শুকনা মরিচ, রসুন কুচি ও পেঁয়াজ ভেজে দিন।
# পেঁয়াজ বাদামি হয়ে গেলে আদা বাটা দিয়ে কষিয়ে নিন।
# এবার এই ফোড়নটি সেদ্ধ ডালের ওপর ঢেলে দিন এবং নেড়ে ৫ মিনিটের মতো দমে রাখুন।
# ধনে পাতা কুচি ছিটিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।
== পরিবেশন ==
সজনে ডাল গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন। এর সঙ্গে এক টুকরো লেবু বা ভাজা শুকনা মরিচ দিলে স্বাদ আরও বেড়ে যায়।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:প্রধান খাবার]]
[[Category:ডালভিত্তিক খাবার]]
[[Category:বাংলাদেশী খাবার]]
l75babbdj7iyqzu8qzngw3rvx7dbmnk
84562
84561
2025-06-17T01:00:23Z
Mehedi Abedin
7113
84562
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = প্রধান খাবার
| পরিবেশন = ৪–৫ জন
| তৈরির সময় = ৪৫ মিনিট
| কষ্টসাধ্য = 2
| খাদ্য শক্তি = মাঝারি
| টীকা = হালকা, সুস্বাদু এবং স্বাস্থ্যকর পদ, যা সজনে ডাঁটা ও মসুর ডালের সম্মিলনে গঠিত হয়। এটি গরম ভাতের সঙ্গে অসাধারণ লাগে।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''সজনে ডাল'''</big></center>
সজনে ডাল গ্রামীণ ও শহুরে উভয় রান্নাঘরেই অত্যন্ত পরিচিত ও জনপ্রিয় একটি খাদ্য। সজনে গাছের ডাঁটা পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ এবং মসুর ডালের সঙ্গে এটি এক অনন্য স্বাদের সংমিশ্রণ তৈরি করে। বসন্ত বা গ্রীষ্মকালে সজনে ডাঁটা বিশেষত খাওয়া হয়, যখন এটি সহজলভ্য থাকে। এটি একটি সস্তা, সহজ এবং শরীরের জন্য উপকারী একটি খাবার, যা প্রতিদিনের ঘরোয়া রান্নায়ও প্রাধান্য পায়।
== উপকরণ ==
{|class="wikitable"
! নাম !! পরিমাণ
|-
| মসুর ডাল || ১ কাপ
|-
| সজনে ডাঁটা || ৫–৬টি (৪–৫ ইঞ্চি করে কাটা)
|-
| পেঁয়াজ কুচি || ১/২ কাপ
|-
| আদা বাটা || ১ চা চামচ
|-
| রসুন কুচি || ১ চা চামচ
|-
| হলুদ গুঁড়া || ১/২ চা চামচ
|-
| শুকনা মরিচ || ২–৩টি
|-
| লবণ || স্বাদমতো
|-
| সরিষার তেল || ২ টেবিল চামচ
|-
| ধনে পাতা কুচি || ২ টেবিল চামচ
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# প্রথমে মসুর ডাল ভালোভাবে ধুয়ে নিন এবং ৩ কাপ পানিতে সিদ্ধ করে নরম করে ফেলুন।
# সজনে ডাঁটা ছুলে ৪–৫ ইঞ্চি দৈর্ঘ্যে কেটে রাখুন।
# ডাল সেদ্ধ হলে তাতে সজনে ডাঁটা, হলুদ গুঁড়া, লবণ ও আধা কাপ পানি দিয়ে ঢেকে মাঝারি আঁচে ১০–১২ মিনিট রান্না করুন।
# অন্যদিকে একটি কড়াইয়ে সরিষার তেল গরম করে তাতে শুকনা মরিচ, রসুন কুচি ও পেঁয়াজ ভেজে দিন।
# পেঁয়াজ বাদামি হয়ে গেলে আদা বাটা দিয়ে কষিয়ে নিন।
# এবার এই ফোড়নটি সেদ্ধ ডালের ওপর ঢেলে দিন এবং নেড়ে ৫ মিনিটের মতো দমে রাখুন।
# ধনে পাতা কুচি ছিটিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।
<span style=color:red;><center>'''গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন।'''</center></span>
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:প্রধান খাবার]]
[[Category:ডালভিত্তিক খাবার]]
[[Category:বাংলাদেশী খাবার]]
67w73uv9v2iyvtqtzz75xoc6tmzr5sy
84563
84562
2025-06-17T01:00:36Z
Mehedi Abedin
7113
84563
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = প্রধান খাবার
| পরিবেশন = ৪–৫ জন
| তৈরির সময় = ৪৫ মিনিট
| কষ্টসাধ্য = 2
| খাদ্য শক্তি = মাঝারি
| টীকা = হালকা, সুস্বাদু এবং স্বাস্থ্যকর পদ, যা সজনে ডাঁটা ও মসুর ডালের সম্মিলনে গঠিত হয়। এটি গরম ভাতের সঙ্গে অসাধারণ লাগে।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''সজনে ডাল'''</big></center>
সজনে ডাল গ্রামীণ ও শহুরে উভয় রান্নাঘরেই অত্যন্ত পরিচিত ও জনপ্রিয় একটি খাদ্য। সজনে গাছের ডাঁটা পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ এবং মসুর ডালের সঙ্গে এটি এক অনন্য স্বাদের সংমিশ্রণ তৈরি করে। বসন্ত বা গ্রীষ্মকালে সজনে ডাঁটা বিশেষত খাওয়া হয়, যখন এটি সহজলভ্য থাকে। এটি একটি সস্তা, সহজ এবং শরীরের জন্য উপকারী একটি খাবার, যা প্রতিদিনের ঘরোয়া রান্নায়ও প্রাধান্য পায়।
== উপকরণ ==
{|class="wikitable"
! নাম !! পরিমাণ
|-
| মসুর ডাল || ১ কাপ
|-
| সজনে ডাঁটা || ৫–৬টি (৪–৫ ইঞ্চি করে কাটা)
|-
| পেঁয়াজ কুচি || ১/২ কাপ
|-
| আদা বাটা || ১ চা চামচ
|-
| রসুন কুচি || ১ চা চামচ
|-
| হলুদ গুঁড়া || ১/২ চা চামচ
|-
| শুকনা মরিচ || ২–৩টি
|-
| লবণ || স্বাদমতো
|-
| সরিষার তেল || ২ টেবিল চামচ
|-
| ধনে পাতা কুচি || ২ টেবিল চামচ
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# প্রথমে মসুর ডাল ভালোভাবে ধুয়ে নিন এবং ৩ কাপ পানিতে সিদ্ধ করে নরম করে ফেলুন।
# সজনে ডাঁটা ছুলে ৪–৫ ইঞ্চি দৈর্ঘ্যে কেটে রাখুন।
# ডাল সেদ্ধ হলে তাতে সজনে ডাঁটা, হলুদ গুঁড়া, লবণ ও আধা কাপ পানি দিয়ে ঢেকে মাঝারি আঁচে ১০–১২ মিনিট রান্না করুন।
# অন্যদিকে একটি কড়াইয়ে সরিষার তেল গরম করে তাতে শুকনা মরিচ, রসুন কুচি ও পেঁয়াজ ভেজে দিন।
# পেঁয়াজ বাদামি হয়ে গেলে আদা বাটা দিয়ে কষিয়ে নিন।
# এবার এই ফোড়নটি সেদ্ধ ডালের ওপর ঢেলে দিন এবং নেড়ে ৫ মিনিটের মতো দমে রাখুন।
# ধনে পাতা কুচি ছিটিয়ে দিন।
<span style=color:red;><center>'''গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন।'''</center></span>
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:প্রধান খাবার]]
[[Category:ডালভিত্তিক খাবার]]
[[Category:বাংলাদেশী খাবার]]
t3whn13kswqffgjswp7myvjog7a6090
রন্ধনপ্রণালী:কাঁচকলার কোপ্তা
104
24254
84559
84289
2025-06-17T00:59:22Z
Mehedi Abedin
7113
84559
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = প্রধান খাবার
| পরিবেশন = ৪–৫ জন
| তৈরির সময় = ১ ঘণ্টা
| কষ্টসাধ্য = 3
| খাদ্য শক্তি = মাঝারি
| টীকা = নিরামিষ, মশলাদার ও স্বাস্থ্যকর পদ যা বিশেষত উপবাস, পার্বণ বা নিরামিষ দিনগুলিতে রান্না করা হয়।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''কাঁচকলার কোপ্তা'''</big></center>
কাঁচকলার কোপ্তা একটি ঐতিহ্যবাহী ও সুস্বাদু নিরামিষ খাবার যা বাংলার বহু পরিবারেই বিশেষ দিনে তৈরি হয়। এতে মূল উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হয় কাঁচকলা, যা সেদ্ধ করে মশলা দিয়ে মাখিয়ে ছোট ছোট বল বা কোপ্তা হিসেবে তৈরি করা হয়। তারপর তা দই ও মসলা দিয়ে তৈরি করা একটি ঘন ঝোল বা তরকারিতে রান্না করা হয়। এটি খেতে যেমন মুখরোচক, তেমনি সহজপাচ্য ও পুষ্টিকরও বটে।
== উপকরণ ==
{|class="wikitable"
! উপাদান !! পরিমাণ
|-
| কাঁচকলা || ৪–৫টি
|-
| বেসন || ২ টেবিল চামচ
|-
| পেঁয়াজ কুচি || ১/২ কাপ
|-
| আদা-রসুন বাটা || ১ টেবিল চামচ
|-
| কাঁচা মরিচ কুচি || ২টি
|-
| ধনে গুঁড়া || ১ চা চামচ
|-
| জিরা গুঁড়া || ১/২ চা চামচ
|-
| গরম মসলা গুঁড়া || ১/২ চা চামচ
|-
| হলুদ গুঁড়া || ১/২ চা চামচ
|-
| লবণ || স্বাদমতো
|-
| তেল || ভাজার জন্য
|}
== তরকারির জন্য ==
{|class="wikitable"
! উপাদান !! পরিমাণ
|-
| টক দই || ১/২ কাপ
|-
| আদা বাটা || ১ চা চামচ
|-
| শুকনা মরিচ গুঁড়া || ১ চা চামচ
|-
| ধনে গুঁড়া || ১ চা চামচ
|-
| হলুদ গুঁড়া || ১/২ চা চামচ
|-
| জিরা গুঁড়া || ১/২ চা চামচ
|-
| তেজপাতা || ১টি
|-
| দারুচিনি, এলাচ || ১–২টি করে
|-
| তেল || ৩ টেবিল চামচ
|-
| পানি || প্রয়োজনমতো
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# প্রথমে কাঁচকলা ধুয়ে সেদ্ধ করে খোসা ছাড়িয়ে নিন।
# একটি বড় বাটিতে সেদ্ধ কাঁচকলা মেখে তাতে পেঁয়াজ, কাঁচা মরিচ, আদা-রসুন বাটা, ধনে গুঁড়া, জিরা গুঁড়া, গরম মসলা, বেসন ও লবণ মিশিয়ে ভালোভাবে মেখে নিন।
# মিশ্রণটি থেকে ছোট ছোট কোপ্তার বল তৈরি করুন।
# একটি কড়াইয়ে তেল গরম করে কোপ্তাগুলো বাদামি হওয়া পর্যন্ত ভেজে তুলে রাখুন।
# এবার আরেকটি পাত্রে তেল গরম করে তেজপাতা, দারুচিনি, এলাচ ফোড়ন দিন।
# তারপর তাতে আদা বাটা, হলুদ, শুকনা মরিচ, ধনে, জিরা গুঁড়া দিয়ে কষান।
# টক দই ফেটিয়ে মসলার মধ্যে দিন ও ভালোভাবে কষান।
# প্রয়োজনমতো পানি দিন এবং ঝোল ফুটে উঠলে ভাজা কোপ্তাগুলো দিয়ে দিন।
# ঢেকে ৫–৭ মিনিট হালকা আঁচে দমে রাখুন।
== পরিবেশন ==
কাঁচকলার কোপ্তা গরম ভাত, পোলাও বা রুটি দিয়ে পরিবেশন করা যায়। এটি একটি সম্পূর্ণ নিরামিষ খাবার, যা ভিন্ন স্বাদে ভরপুর।
== অতিরিক্ত পরামর্শ ==
* চাইলে কোপ্তার মিশ্রণে কোরানো নারকেল যোগ করে স্বাদ বাড়ানো যায়।
* কোপ্তা তৈরির সময় হাতে সামান্য তেলে মেখে নিলে বল তৈরি সহজ হয়।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:প্রধান খাবার]]
[[Category:নিরামিষ খাবার]]
[[Category:বাংলাদেশি তরকারি]]
b42mqddnzsfl9cgbvyq78tlj09xy0tw
84560
84559
2025-06-17T00:59:43Z
Mehedi Abedin
7113
84560
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = প্রধান খাবার
| পরিবেশন = ৪–৫ জন
| তৈরির সময় = ১ ঘণ্টা
| কষ্টসাধ্য = 3
| খাদ্য শক্তি = মাঝারি
| টীকা = নিরামিষ, মশলাদার ও স্বাস্থ্যকর পদ যা বিশেষত উপবাস, পার্বণ বা নিরামিষ দিনগুলিতে রান্না করা হয়।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''কাঁচকলার কোপ্তা'''</big></center>
কাঁচকলার কোপ্তা একটি ঐতিহ্যবাহী ও সুস্বাদু নিরামিষ খাবার যা বাংলার বহু পরিবারেই বিশেষ দিনে তৈরি হয়। এতে মূল উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হয় কাঁচকলা, যা সেদ্ধ করে মশলা দিয়ে মাখিয়ে ছোট ছোট বল বা কোপ্তা হিসেবে তৈরি করা হয়। তারপর তা দই ও মসলা দিয়ে তৈরি করা একটি ঘন ঝোল বা তরকারিতে রান্না করা হয়। এটি খেতে যেমন মুখরোচক, তেমনি সহজপাচ্য ও পুষ্টিকরও বটে।
== উপকরণ ==
{|class="wikitable"
! উপাদান !! পরিমাণ
|-
| কাঁচকলা || ৪–৫টি
|-
| বেসন || ২ টেবিল চামচ
|-
| পেঁয়াজ কুচি || ১/২ কাপ
|-
| আদা-রসুন বাটা || ১ টেবিল চামচ
|-
| কাঁচা মরিচ কুচি || ২টি
|-
| ধনে গুঁড়া || ১ চা চামচ
|-
| জিরা গুঁড়া || ১/২ চা চামচ
|-
| গরম মসলা গুঁড়া || ১/২ চা চামচ
|-
| হলুদ গুঁড়া || ১/২ চা চামচ
|-
| লবণ || স্বাদমতো
|-
| তেল || ভাজার জন্য
|}
== তরকারির জন্য ==
{|class="wikitable"
! উপাদান !! পরিমাণ
|-
| টক দই || ১/২ কাপ
|-
| আদা বাটা || ১ চা চামচ
|-
| শুকনা মরিচ গুঁড়া || ১ চা চামচ
|-
| ধনে গুঁড়া || ১ চা চামচ
|-
| হলুদ গুঁড়া || ১/২ চা চামচ
|-
| জিরা গুঁড়া || ১/২ চা চামচ
|-
| তেজপাতা || ১টি
|-
| দারুচিনি, এলাচ || ১–২টি করে
|-
| তেল || ৩ টেবিল চামচ
|-
| পানি || প্রয়োজনমতো
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# প্রথমে কাঁচকলা ধুয়ে সেদ্ধ করে খোসা ছাড়িয়ে নিন।
# একটি বড় বাটিতে সেদ্ধ কাঁচকলা মেখে তাতে পেঁয়াজ, কাঁচা মরিচ, আদা-রসুন বাটা, ধনে গুঁড়া, জিরা গুঁড়া, গরম মসলা, বেসন ও লবণ মিশিয়ে ভালোভাবে মেখে নিন।
# মিশ্রণটি থেকে ছোট ছোট কোপ্তার বল তৈরি করুন।
# একটি কড়াইয়ে তেল গরম করে কোপ্তাগুলো বাদামি হওয়া পর্যন্ত ভেজে তুলে রাখুন।
# এবার আরেকটি পাত্রে তেল গরম করে তেজপাতা, দারুচিনি, এলাচ ফোড়ন দিন।
# তারপর তাতে আদা বাটা, হলুদ, শুকনা মরিচ, ধনে, জিরা গুঁড়া দিয়ে কষান।
# টক দই ফেটিয়ে মসলার মধ্যে দিন ও ভালোভাবে কষান।
# প্রয়োজনমতো পানি দিন এবং ঝোল ফুটে উঠলে ভাজা কোপ্তাগুলো দিয়ে দিন।
# ঢেকে ৫–৭ মিনিট হালকা আঁচে দমে রাখুন।
<span style=color:red;><center>'''গরম ভাত, পোলাও বা রুটি দিয়ে পরিবেশন করুন।'''</center></span>
== অতিরিক্ত পরামর্শ ==
* চাইলে কোপ্তার মিশ্রণে কোরানো নারকেল যোগ করে স্বাদ বাড়ানো যায়।
* কোপ্তা তৈরির সময় হাতে সামান্য তেলে মেখে নিলে বল তৈরি সহজ হয়।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:প্রধান খাবার]]
[[Category:নিরামিষ খাবার]]
[[Category:বাংলাদেশি তরকারি]]
dcth0vq4m01hw97gllaqfaqkgr36eeo
রন্ধনপ্রণালী:রসকদম্ব
104
24256
84556
84292
2025-06-17T00:58:17Z
Mehedi Abedin
7113
84556
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = মিষ্টান্ন
| পরিবেশন = ৬-৭ জন
| তৈরির সময় = ২ ঘণ্টা
| কষ্টসাধ্য = 4
| খাদ্য শক্তি = উচ্চ
| টীকা = ঘন মিষ্টি রস, দুধ ও ঘৃতের বিশেষ সমন্বয়ে তৈরি স্বাদের জন্য বিশেষভাবে জনপ্রিয় ঐতিহ্যবাহী বাঙালি মিষ্টি। উৎসব বা অনুষ্ঠান পরিবেশের জন্য আদর্শ।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''রসকদম্ব (রসকদম)'''</big></center>
রসকদম্ব বাংলা অঞ্চলের এক প্রাচীন ও প্রিয় মিষ্টান্ন, যা মানুষের পছন্দের মিষ্টির তালিকায় সর্বদা থাকে। এই মিষ্টির স্বাদ ও গঠন একদম অনন্য, কারণ এটি তৈরিতে ব্যবহার করা হয় বিশেষ ঘন মিষ্টি রস এবং ঘৃত, যা দুধের স্বাদকে আরও মিষ্টি ও সুমিষ্ট করে তোলে। বিশেষ করে শীতকালে বা উৎসবে এটি বাড়ির আড্ডার মধ্যে আলাদা রকমের আনন্দ যোগ করে।
== উপকরণ ==
{|class="wikitable"
! উপাদান !! পরিমাণ
|-
| দুধ || ২ লিটার (পুরো পাকা দুধ)
|-
| চিনি || ১ কাপ
|-
| ঘি || ৩ টেবিল চামচ
|-
| এলাচ গুঁড়ো || ১ চা চামচ
|-
| নারকেল কুঁচি || ১/২ কাপ (ঐচ্ছিক)
|-
| জল || ১/২ কাপ (চিনির সিরাপের জন্য)
|-
| মধু বা গোলাপজল || ১ টেবিল চামচ (ঐচ্ছিক)
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# একটি বড় পাত্রে দুধ ঢেলে মাঝারি আঁচে রান্না শুরু করুন। মাঝে মাঝে নাড়তে থাকুন যাতে দুধ পাত্রের তলায় না লেগে যায়।
# দুধ যতক্ষন না কমে ঘন হয়, ততক্ষণ রান্না করুন। দুধকে ক্রমশ ঘন হতে দিন যাতে তা গাঢ় ও মাখনের মতো হয়ে যায়।
# আলাদা একটি পাত্রে জল এবং চিনি নিয়ে হালকা আঁচে সিরকা তৈরি করুন। চিনি সম্পূর্ণ গলে গেলে সিরকা ঘন হয়ে এলে নামিয়ে নিন।
# দুধ যখন ঘন হয়ে আসবে তখন এতে এলাচ গুঁড়ো মিশিয়ে দিন। দুধের থেকে কুচানো ঘন অংশ বা মালাই আলাদা করে তুলে রাখুন।
# একে একে ওই মালাইগুলো নিয়ে হাত দিয়ে ছোট ছোট গোল গুটিকা তৈরি করুন।
# সিরাপের মধ্যে ওই গুটিকাগুলো ধীরে ধীরে দিয়ে দিন, তারপর ঢেকে ২০-৩০ মিনিট ঢিমে আঁচে রাখুন যাতে তারা সিরাপ ভালোভাবে শোষণ করতে পারে।
# একটি পাত্রে ঘি গরম করুন, তারপর গুটিকাগুলো আলাদা করে একটু ভাজুন, এতে তারা একটু সোনালি হয়ে আসবে এবং সুগন্ধ বের হবে।
# ভাজা গুটিকাগুলো আবার সিরাপের মধ্যে দিয়ে দিন।
# শেষে ঐচ্ছিকভাবে নারকেল কুঁচি অথবা গোলাপজল মিশিয়ে পরিবেশন করুন।
== স্বাস্থ্য উপকারিতা ও সতর্কতা ==
রসকদম্ব দুধ ও চিনির কারণে শক্তি দেয়, তবে এর অতিরিক্ত সেবনে ওজন বৃদ্ধি বা রক্তে চিনির মাত্রা বেড়ে যেতে পারে, তাই সীমিত পরিমাণে খাওয়া উচিত। দুধ থেকে প্রাপ্ত ক্যালসিয়াম হাড় মজবুত করতে সাহায্য করে, তবে অতিরিক্ত মিষ্টি খাদ্য সরাসরি দৈনন্দিন খাবারে রাখার আগে সতর্ক থাকা ভালো।
== পরামর্শ ==
* দুধ ধীরে ধীরে কমাতে হবে যাতে তা পুড়ে না যায়।
* গুটিকা তৈরি করার সময় হাত ভালোভাবে ভিজিয়ে নিলে মালাই সহজে গোলাকৃতি হয়।
* নারকেল কুঁচি মিষ্টির স্বাদ ও গন্ধ বাড়ায়।
* চাইলে মিষ্টিতে সামান্য কিশমিশ বা বাদাম কুঁচি দিয়ে পরিবেশন করা যায়।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:মিষ্টান্ন]]
[[Category:বাংলাদেশী মিষ্টি]]
[[Category:ঐতিহ্যবাহী খাবার]]
5s5ig8uwldgn65xfkzyltnd49jix7ze
84557
84556
2025-06-17T00:58:25Z
Mehedi Abedin
7113
84557
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = মিষ্টান্ন
| পরিবেশন = ৬-৭ জন
| তৈরির সময় = ২ ঘণ্টা
| কষ্টসাধ্য = 4
| খাদ্য শক্তি = উচ্চ
| টীকা = ঘন মিষ্টি রস, দুধ ও ঘৃতের বিশেষ সমন্বয়ে তৈরি স্বাদের জন্য বিশেষভাবে জনপ্রিয় ঐতিহ্যবাহী বাঙালি মিষ্টি। উৎসব বা অনুষ্ঠান পরিবেশের জন্য আদর্শ।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''রসকদম্ব (রসকদম)'''</big></center>
রসকদম্ব বাংলা অঞ্চলের এক প্রাচীন ও প্রিয় মিষ্টান্ন, যা মানুষের পছন্দের মিষ্টির তালিকায় সর্বদা থাকে। এই মিষ্টির স্বাদ ও গঠন একদম অনন্য, কারণ এটি তৈরিতে ব্যবহার করা হয় বিশেষ ঘন মিষ্টি রস এবং ঘৃত, যা দুধের স্বাদকে আরও মিষ্টি ও সুমিষ্ট করে তোলে। বিশেষ করে শীতকালে বা উৎসবে এটি বাড়ির আড্ডার মধ্যে আলাদা রকমের আনন্দ যোগ করে।
== উপকরণ ==
{|class="wikitable"
! উপাদান !! পরিমাণ
|-
| দুধ || ২ লিটার (পুরো পাকা দুধ)
|-
| চিনি || ১ কাপ
|-
| ঘি || ৩ টেবিল চামচ
|-
| এলাচ গুঁড়ো || ১ চা চামচ
|-
| নারকেল কুঁচি || ১/২ কাপ (ঐচ্ছিক)
|-
| জল || ১/২ কাপ (চিনির সিরাপের জন্য)
|-
| মধু বা গোলাপজল || ১ টেবিল চামচ (ঐচ্ছিক)
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# একটি বড় পাত্রে দুধ ঢেলে মাঝারি আঁচে রান্না শুরু করুন। মাঝে মাঝে নাড়তে থাকুন যাতে দুধ পাত্রের তলায় না লেগে যায়।
# দুধ যতক্ষন না কমে ঘন হয়, ততক্ষণ রান্না করুন। দুধকে ক্রমশ ঘন হতে দিন যাতে তা গাঢ় ও মাখনের মতো হয়ে যায়।
# আলাদা একটি পাত্রে জল এবং চিনি নিয়ে হালকা আঁচে সিরকা তৈরি করুন। চিনি সম্পূর্ণ গলে গেলে সিরকা ঘন হয়ে এলে নামিয়ে নিন।
# দুধ যখন ঘন হয়ে আসবে তখন এতে এলাচ গুঁড়ো মিশিয়ে দিন। দুধের থেকে কুচানো ঘন অংশ বা মালাই আলাদা করে তুলে রাখুন।
# একে একে ওই মালাইগুলো নিয়ে হাত দিয়ে ছোট ছোট গোল গুটিকা তৈরি করুন।
# সিরাপের মধ্যে ওই গুটিকাগুলো ধীরে ধীরে দিয়ে দিন, তারপর ঢেকে ২০-৩০ মিনিট ঢিমে আঁচে রাখুন যাতে তারা সিরাপ ভালোভাবে শোষণ করতে পারে।
# একটি পাত্রে ঘি গরম করুন, তারপর গুটিকাগুলো আলাদা করে একটু ভাজুন, এতে তারা একটু সোনালি হয়ে আসবে এবং সুগন্ধ বের হবে।
# ভাজা গুটিকাগুলো আবার সিরাপের মধ্যে দিয়ে দিন।
# শেষে ঐচ্ছিকভাবে নারকেল কুঁচি অথবা গোলাপজল মিশিয়ে পরিবেশন করুন।
== পরামর্শ ==
* দুধ ধীরে ধীরে কমাতে হবে যাতে তা পুড়ে না যায়।
* গুটিকা তৈরি করার সময় হাত ভালোভাবে ভিজিয়ে নিলে মালাই সহজে গোলাকৃতি হয়।
* নারকেল কুঁচি মিষ্টির স্বাদ ও গন্ধ বাড়ায়।
* চাইলে মিষ্টিতে সামান্য কিশমিশ বা বাদাম কুঁচি দিয়ে পরিবেশন করা যায়।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:মিষ্টান্ন]]
[[Category:বাংলাদেশী মিষ্টি]]
[[Category:ঐতিহ্যবাহী খাবার]]
mu0d9r2s3e5gptwc0l6yj8cmn5n02du
84558
84557
2025-06-17T00:58:46Z
Mehedi Abedin
7113
84558
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = মিষ্টান্ন
| পরিবেশন = ৬-৭ জন
| তৈরির সময় = ২ ঘণ্টা
| কষ্টসাধ্য = 4
| খাদ্য শক্তি = উচ্চ
| টীকা = ঘন মিষ্টি রস, দুধ ও ঘৃতের বিশেষ সমন্বয়ে তৈরি স্বাদের জন্য বিশেষভাবে জনপ্রিয় ঐতিহ্যবাহী বাঙালি মিষ্টি। উৎসব বা অনুষ্ঠান পরিবেশের জন্য আদর্শ।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''রসকদম্ব (রসকদম)'''</big></center>
রসকদম্ব বাংলা অঞ্চলের এক প্রাচীন ও প্রিয় মিষ্টান্ন, যা মানুষের পছন্দের মিষ্টির তালিকায় সর্বদা থাকে। এই মিষ্টির স্বাদ ও গঠন একদম অনন্য, কারণ এটি তৈরিতে ব্যবহার করা হয় বিশেষ ঘন মিষ্টি রস এবং ঘৃত, যা দুধের স্বাদকে আরও মিষ্টি ও সুমিষ্ট করে তোলে। বিশেষ করে শীতকালে বা উৎসবে এটি বাড়ির আড্ডার মধ্যে আলাদা রকমের আনন্দ যোগ করে।
== উপকরণ ==
{|class="wikitable"
! উপাদান !! পরিমাণ
|-
| দুধ || ২ লিটার (পুরো পাকা দুধ)
|-
| চিনি || ১ কাপ
|-
| ঘি || ৩ টেবিল চামচ
|-
| এলাচ গুঁড়ো || ১ চা চামচ
|-
| নারকেল কুঁচি || ১/২ কাপ (ঐচ্ছিক)
|-
| জল || ১/২ কাপ (চিনির সিরাপের জন্য)
|-
| মধু বা গোলাপজল || ১ টেবিল চামচ (ঐচ্ছিক)
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# একটি বড় পাত্রে দুধ ঢেলে মাঝারি আঁচে রান্না শুরু করুন। মাঝে মাঝে নাড়তে থাকুন যাতে দুধ পাত্রের তলায় না লেগে যায়।
# দুধ যতক্ষন না কমে ঘন হয়, ততক্ষণ রান্না করুন। দুধকে ক্রমশ ঘন হতে দিন যাতে তা গাঢ় ও মাখনের মতো হয়ে যায়।
# আলাদা একটি পাত্রে জল এবং চিনি নিয়ে হালকা আঁচে সিরকা তৈরি করুন। চিনি সম্পূর্ণ গলে গেলে সিরকা ঘন হয়ে এলে নামিয়ে নিন।
# দুধ যখন ঘন হয়ে আসবে তখন এতে এলাচ গুঁড়ো মিশিয়ে দিন। দুধের থেকে কুচানো ঘন অংশ বা মালাই আলাদা করে তুলে রাখুন।
# একে একে ওই মালাইগুলো নিয়ে হাত দিয়ে ছোট ছোট গোল গুটিকা তৈরি করুন।
# সিরাপের মধ্যে ওই গুটিকাগুলো ধীরে ধীরে দিয়ে দিন, তারপর ঢেকে ২০-৩০ মিনিট ঢিমে আঁচে রাখুন যাতে তারা সিরাপ ভালোভাবে শোষণ করতে পারে।
# একটি পাত্রে ঘি গরম করুন, তারপর গুটিকাগুলো আলাদা করে একটু ভাজুন, এতে তারা একটু সোনালি হয়ে আসবে এবং সুগন্ধ বের হবে।
# ভাজা গুটিকাগুলো আবার সিরাপের মধ্যে দিয়ে দিন।
<span style=color:red;><center>'''নারকেল কুঁচি অথবা গোলাপজল মিশিয়ে পরিবেশন করুন।'''</center></span>
== পরামর্শ ==
* দুধ ধীরে ধীরে কমাতে হবে যাতে তা পুড়ে না যায়।
* গুটিকা তৈরি করার সময় হাত ভালোভাবে ভিজিয়ে নিলে মালাই সহজে গোলাকৃতি হয়।
* নারকেল কুঁচি মিষ্টির স্বাদ ও গন্ধ বাড়ায়।
* চাইলে মিষ্টিতে সামান্য কিশমিশ বা বাদাম কুঁচি দিয়ে পরিবেশন করা যায়।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:মিষ্টান্ন]]
[[Category:বাংলাদেশী মিষ্টি]]
[[Category:ঐতিহ্যবাহী খাবার]]
k8b30tj72udtvja0reng0rpdnlmxv85
রন্ধনপ্রণালী:সরষে পাবদা
104
24259
84553
84296
2025-06-17T00:57:09Z
Mehedi Abedin
7113
84553
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = মাছের পদ
| পরিবেশন = ৪ জন
| তৈরির সময় = ১ ঘণ্টা ২০ মিনিট
| কষ্টসাধ্য = 3
| খাদ্য শক্তি = মাঝারি
| টীকা = সুস্বাদু এবং তীব্র স্বাদের মাছের পদ, যা সরষে রস (সরষে মিশ্রণ) দিয়ে রান্না করা হয়। এটি বাঙালি খাবারে বিশেষভাবে জনপ্রিয়, বিশেষত শীতকালীন সময়ে।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''সরষে পাবদা'''</big></center>
সরষে পাবদা বাঙালিদের মধ্যে অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি মাছের পদ। পাবদা মাছ সাধারণত ছোট আকৃতির ও নরম মাংসবিশিষ্ট, যা সরষে বাটা ও বিভিন্ন মসলার সাথে মিশিয়ে বিশেষ রকমের স্বাদে রান্না করা হয়। সরষে পাবদা মাছের স্বাদে মিষ্টি-মশলাদার সরষের হালকা মিশ্রণ একটি অনন্য অভিজ্ঞতা দেয়। এটি সাধারণত গরম ভাতের সাথে খাওয়া হয় এবং উৎসবে খাবার টেবিলে আলাদা মর্যাদা পায়।
== উপকরণ ==
{|class="wikitable"
! উপাদান !! পরিমাণ
|-
| পাবদা মাছ || ৫০০ গ্রাম (পরিষ্কার ও ধুয়ে কাটা)
|-
| সরষে বাটা || ৪ টেবিল চামচ
|-
| পেঁয়াজ বাটা || ১/২ কাপ
|-
| রসুন বাটা || ১ টেবিল চামচ
|-
| আদা বাটা || ১ টেবিল চামচ
|-
| কাঁচা মরিচ বাটা || ২–৩টি (স্বাদমতো)
|-
| সরষে তেল || ৪ টেবিল চামচ
|-
| হলুদ গুঁড়ো || ১ চা চামচ
|-
| লবণ || স্বাদমতো
|-
| পানি || ১ কাপ
|-
| ধনে পাতা কুচি || ২ টেবিল চামচ (সাজানোর জন্য)
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# প্রথমে পাবদা মাছ ধুয়ে পরিষ্কার করে নিন। মাছের ফাঁকে ফাঁকে সামান্য হলুদ ও লবণ মেখে ১৫ মিনিট রাখুন যাতে মাছের গন্ধ কমে যায়।
# একটি পাত্রে সরষে বাটা, পেঁয়াজ বাটা, আদা-রসুন বাটা, কাঁচা মরিচ বাটা, হলুদ গুঁড়ো ও লবণ দিয়ে মিশ্রণ তৈরি করুন। এতে এক কাপ পানি যোগ করে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন যাতে সরষে মিশ্রণ তৈরি হয়।
# একটি পাত্রে সরষে তেল গরম করুন। তেলে প্রথমে মাছের টুকরা গুলো হালকা ভাজুন যতক্ষণ না মাছের রং সোনালি হয়। তারপর মাছ তুলে আলাদা করে রাখুন।
# একই তেলে পেঁয়াজ-বাটা ও মশলার মিশ্রণ ঢেলে কিছুক্ষণ ঝাঁঝালো হয়ে আসা পর্যন্ত নাড়ুন।
# এরপর মাছ গুলো সরষে মিশ্রণের মধ্যে ছেড়ে ঢেকে দিন। হালকা আঁচে ১০-১৫ মিনিট রান্না করুন যাতে মাছ পুরোপুরি সরষে মিশ্রণে মাখা হয়ে যায়।
# মাঝে মাঝে ঢাকনা তুলে সরষে মিশ্রণ নাড়ুন এবং মাছ নষ্ট না হয়ে ধীরে ধীরে রান্না হতে দিন।
# রান্না শেষে ধনে পাতা কুচি ছড়িয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।
== পরিবেশন ==
সরষে পাবদা সাধারণত গরম ভাতের সাথে খাওয়া হয়। এর ঝাল-মিষ্টি স্বাদের সঙ্গতি ভাতের স্বাদকে বাড়িয়ে দেয়। এটি মধ্যাহ্ন বা রাতের খাবারে বিশেষ পছন্দের।
== পরামর্শ ==
* সরষে বাটা তাজা হলে রান্নার স্বাদ অনেক ভালো হয়।
* মাছ ভাজার সময় আঁচ খুব বেশি না রাখলে মাছ নরম থাকবে।
* ইচ্ছা করলে সরষে পাবদার সাথে একটু নিম্বুর রস দিতে পারেন, যা স্বাদকে আরও তাজা করে তোলে।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:মাছের পদ]]
[[Category:বাংলাদেশী রান্না]]
[[Category:ঐতিহ্যবাহী খাবার]]
lmw1dh4ck5u5geb3sm1ncjxvlem4n8p
84554
84553
2025-06-17T00:57:35Z
Mehedi Abedin
7113
84554
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = মাছের পদ
| পরিবেশন = ৪ জন
| তৈরির সময় = ১ ঘণ্টা ২০ মিনিট
| কষ্টসাধ্য = 3
| খাদ্য শক্তি = মাঝারি
| টীকা = সুস্বাদু এবং তীব্র স্বাদের মাছের পদ, যা সরষে রস (সরষে মিশ্রণ) দিয়ে রান্না করা হয়। এটি বাঙালি খাবারে বিশেষভাবে জনপ্রিয়, বিশেষত শীতকালীন সময়ে।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''সরষে পাবদা'''</big></center>
সরষে পাবদা বাঙালিদের মধ্যে অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি মাছের পদ। পাবদা মাছ সাধারণত ছোট আকৃতির ও নরম মাংসবিশিষ্ট, যা সরষে বাটা ও বিভিন্ন মসলার সাথে মিশিয়ে বিশেষ রকমের স্বাদে রান্না করা হয়। সরষে পাবদা মাছের স্বাদে মিষ্টি-মশলাদার সরষের হালকা মিশ্রণ একটি অনন্য অভিজ্ঞতা দেয়। এটি সাধারণত গরম ভাতের সাথে খাওয়া হয় এবং উৎসবে খাবার টেবিলে আলাদা মর্যাদা পায়।
== উপকরণ ==
{|class="wikitable"
! উপাদান !! পরিমাণ
|-
| পাবদা মাছ || ৫০০ গ্রাম (পরিষ্কার ও ধুয়ে কাটা)
|-
| সরষে বাটা || ৪ টেবিল চামচ
|-
| পেঁয়াজ বাটা || ১/২ কাপ
|-
| রসুন বাটা || ১ টেবিল চামচ
|-
| আদা বাটা || ১ টেবিল চামচ
|-
| কাঁচা মরিচ বাটা || ২–৩টি (স্বাদমতো)
|-
| সরষে তেল || ৪ টেবিল চামচ
|-
| হলুদ গুঁড়ো || ১ চা চামচ
|-
| লবণ || স্বাদমতো
|-
| পানি || ১ কাপ
|-
| ধনে পাতা কুচি || ২ টেবিল চামচ (সাজানোর জন্য)
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# প্রথমে পাবদা মাছ ধুয়ে পরিষ্কার করে নিন। মাছের ফাঁকে ফাঁকে সামান্য হলুদ ও লবণ মেখে ১৫ মিনিট রাখুন যাতে মাছের গন্ধ কমে যায়।
# একটি পাত্রে সরষে বাটা, পেঁয়াজ বাটা, আদা-রসুন বাটা, কাঁচা মরিচ বাটা, হলুদ গুঁড়ো ও লবণ দিয়ে মিশ্রণ তৈরি করুন। এতে এক কাপ পানি যোগ করে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন যাতে সরষে মিশ্রণ তৈরি হয়।
# একটি পাত্রে সরষে তেল গরম করুন। তেলে প্রথমে মাছের টুকরা গুলো হালকা ভাজুন যতক্ষণ না মাছের রং সোনালি হয়। তারপর মাছ তুলে আলাদা করে রাখুন।
# একই তেলে পেঁয়াজ-বাটা ও মশলার মিশ্রণ ঢেলে কিছুক্ষণ ঝাঁঝালো হয়ে আসা পর্যন্ত নাড়ুন।
# এরপর মাছ গুলো সরষে মিশ্রণের মধ্যে ছেড়ে ঢেকে দিন। হালকা আঁচে ১০-১৫ মিনিট রান্না করুন যাতে মাছ পুরোপুরি সরষে মিশ্রণে মাখা হয়ে যায়।
# মাঝে মাঝে ঢাকনা তুলে সরষে মিশ্রণ নাড়ুন এবং মাছ নষ্ট না হয়ে ধীরে ধীরে রান্না হতে দিন।
# রান্না শেষে ধনে পাতা কুচি ছড়িয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।
<span style=color:red;><center>'''গরম ভাতের সাথে পরিবেশন করুন।'''</center></span>
== পরামর্শ ==
* সরষে বাটা তাজা হলে রান্নার স্বাদ অনেক ভালো হয়।
* মাছ ভাজার সময় আঁচ খুব বেশি না রাখলে মাছ নরম থাকবে।
* ইচ্ছা করলে সরষে পাবদার সাথে একটু নিম্বুর রস দিতে পারেন, যা স্বাদকে আরও তাজা করে তোলে।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:মাছের পদ]]
[[Category:বাংলাদেশী রান্না]]
[[Category:ঐতিহ্যবাহী খাবার]]
rk6m2h5hs71qxcxx4hhxivir0bcm73n
84555
84554
2025-06-17T00:57:51Z
Mehedi Abedin
7113
84555
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = মাছের পদ
| পরিবেশন = ৪ জন
| তৈরির সময় = ১ ঘণ্টা ২০ মিনিট
| কষ্টসাধ্য = 3
| খাদ্য শক্তি = মাঝারি
| টীকা = সুস্বাদু এবং তীব্র স্বাদের মাছের পদ, যা সরষে রস (সরষে মিশ্রণ) দিয়ে রান্না করা হয়। এটি বাঙালি খাবারে বিশেষভাবে জনপ্রিয়, বিশেষত শীতকালীন সময়ে।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''সরষে পাবদা'''</big></center>
সরষে পাবদা বাঙালিদের মধ্যে অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি মাছের পদ। পাবদা মাছ সাধারণত ছোট আকৃতির ও নরম মাংসবিশিষ্ট, যা সরষে বাটা ও বিভিন্ন মসলার সাথে মিশিয়ে বিশেষ রকমের স্বাদে রান্না করা হয়। সরষে পাবদা মাছের স্বাদে মিষ্টি-মশলাদার সরষের হালকা মিশ্রণ একটি অনন্য অভিজ্ঞতা দেয়। এটি সাধারণত গরম ভাতের সাথে খাওয়া হয় এবং উৎসবে খাবার টেবিলে আলাদা মর্যাদা পায়।
== উপকরণ ==
{|class="wikitable"
! উপাদান !! পরিমাণ
|-
| পাবদা মাছ || ৫০০ গ্রাম (পরিষ্কার ও ধুয়ে কাটা)
|-
| সরষে বাটা || ৪ টেবিল চামচ
|-
| পেঁয়াজ বাটা || ১/২ কাপ
|-
| রসুন বাটা || ১ টেবিল চামচ
|-
| আদা বাটা || ১ টেবিল চামচ
|-
| কাঁচা মরিচ বাটা || ২–৩টি (স্বাদমতো)
|-
| সরষে তেল || ৪ টেবিল চামচ
|-
| হলুদ গুঁড়ো || ১ চা চামচ
|-
| লবণ || স্বাদমতো
|-
| পানি || ১ কাপ
|-
| ধনে পাতা কুচি || ২ টেবিল চামচ (সাজানোর জন্য)
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# প্রথমে পাবদা মাছ ধুয়ে পরিষ্কার করে নিন। মাছের ফাঁকে ফাঁকে সামান্য হলুদ ও লবণ মেখে ১৫ মিনিট রাখুন যাতে মাছের গন্ধ কমে যায়।
# একটি পাত্রে সরষে বাটা, পেঁয়াজ বাটা, আদা-রসুন বাটা, কাঁচা মরিচ বাটা, হলুদ গুঁড়ো ও লবণ দিয়ে মিশ্রণ তৈরি করুন। এতে এক কাপ পানি যোগ করে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন যাতে সরষে মিশ্রণ তৈরি হয়।
# একটি পাত্রে সরষে তেল গরম করুন। তেলে প্রথমে মাছের টুকরা গুলো হালকা ভাজুন যতক্ষণ না মাছের রং সোনালি হয়। তারপর মাছ তুলে আলাদা করে রাখুন।
# একই তেলে পেঁয়াজ-বাটা ও মশলার মিশ্রণ ঢেলে কিছুক্ষণ ঝাঁঝালো হয়ে আসা পর্যন্ত নাড়ুন।
# এরপর মাছ গুলো সরষে মিশ্রণের মধ্যে ছেড়ে ঢেকে দিন। হালকা আঁচে ১০-১৫ মিনিট রান্না করুন যাতে মাছ পুরোপুরি সরষে মিশ্রণে মাখা হয়ে যায়।
# মাঝে মাঝে ঢাকনা তুলে সরষে মিশ্রণ নাড়ুন এবং মাছ নষ্ট না হয়ে ধীরে ধীরে রান্না হতে দিন।
# রান্না শেষে ধনে পাতা কুচি ছড়িয়ে দিন।
<span style=color:red;><center>'''গরম ভাতের সাথে পরিবেশন করুন।'''</center></span>
== পরামর্শ ==
* সরষে বাটা তাজা হলে রান্নার স্বাদ অনেক ভালো হয়।
* মাছ ভাজার সময় আঁচ খুব বেশি না রাখলে মাছ নরম থাকবে।
* ইচ্ছা করলে সরষে পাবদার সাথে একটু নিম্বুর রস দিতে পারেন, যা স্বাদকে আরও তাজা করে তোলে।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:মাছের পদ]]
[[Category:বাংলাদেশী রান্না]]
[[Category:ঐতিহ্যবাহী খাবার]]
7vt75mropf1z6gooy8p8l00674fjzx3
রন্ধনপ্রণালী:বাদাম পুলি
104
24263
84551
84297
2025-06-17T00:56:14Z
Mehedi Abedin
7113
84551
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = মিষ্টান্ন
| পরিবেশন = ৫–৬ জন
| তৈরির সময় = ২ ঘণ্টা
| কষ্টসাধ্য = 3
| খাদ্য শক্তি = উচ্চ
| টীকা = ঐতিহ্যবাহী মিষ্টান্ন, যা পৌষ পার্বণ বা শীতকালে বিশেষভাবে তৈরি হয়। নারকেল ও বাদামের পুরভরা এই মিষ্টিটি গুড়ের রসে ভিজিয়ে পরিবেশন করা হয়, যার স্বাদ মনকে তৃপ্ত করে।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''বাদাম পুলি'''</big></center>
বাদাম পুলি বাংলার ঐতিহ্যবাহী এক সুস্বাদু মিষ্টি, যা সাধারাণত পৌষ মাসে তৈরি হয়। এটি চালের গুঁড়া দিয়ে তৈরি খোলার মধ্যে বাদাম ও নারকেলের মিশ্রণ পুর ভরে ভাজা হয় এবং পরে তা গুড়ের মিষ্টি রসে ডুবিয়ে পরিবেশন করা হয়। খেতে এটি যেমন মচমচে, তেমনি ভিতরে থাকে এক অপূর্ব মিষ্টি স্বাদ। যাদের ঘরে শীতকালে অতিথি আপ্যায়নের আয়োজন থাকে, তাঁদের জন্য বাদাম পুলি এক অনন্য উপাদান হতে পারে।
== উপকরণ ==
{|class="wikitable"
! উপকরণ !! পরিমাণ
|-
| চালের গুঁড়া || ২ কাপ
|-
| পানি || প্রয়োজনমতো (আটা বানানোর জন্য)
|-
| নারকেল কোরা || ১ কাপ
|-
| চিনা বাদাম (মিহি কুচি) || ১/২ কাপ
|-
| খোয়া ক্ষীর || ১/২ কাপ
|-
| চিনি বা গুড় || ১ কাপ (পুর ও সিরার জন্য)
|-
| এলাচ গুঁড়া || ১/২ চা চামচ
|-
| ঘি || ১ টেবিল চামচ (পুরে)
|-
| তেল || ভাজার জন্য
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# প্রথমে চালের গুঁড়া হালকা গরম পানিতে মেখে মাঝারি শক্ত মণ্ড তৈরি করে নিন। ঢেকে রেখে দিন ৩০ মিনিট।
# একটি পাত্রে ঘি দিয়ে নারকেল ও বাদাম একটু ভেজে নিন। এবার খোয়া ক্ষীর ও চিনি/গুড় মিশিয়ে কিছুক্ষণ নাড়ুন। এলাচ গুঁড়া দিয়ে নামিয়ে নিন। এটি হবে পুর।
# মণ্ড থেকে ছোট ছোট লেচি কেটে পাতলা করে বেলে তার মাঝে পুর ভরে পুলি আকৃতি দিন।
# সবগুলো পুলি তৈরি হলে তেল গরম করে হালকা আঁচে ভাজুন যতক্ষণ না সোনালি হয়ে যায়।
# এবার ১ কাপ চিনি বা গুড় ১ কাপ পানিতে গলিয়ে রস তৈরি করুন এবং পুলি গুলো সেই রসে ১০–১৫ মিনিট ডুবিয়ে রাখুন।
== পরিবেশন ==
বাদাম পুলি ঠান্ডা হলে পরিবেশন করুন। চাইলে হালকা গরম অবস্থাতেও পরিবেশন করা যায়। এটি অতিথি আপ্যায়ন বা উৎসবের জন্য উপযুক্ত।
== পরামর্শ ==
* চালের গুঁড়ার মণ্ড খুব বেশি নরম বা শক্ত করা উচিত নয়।
* রস খুব বেশি পাতলা বা ঘন হলে পুলি ভালোভাবে রস শুষে নিতে পারে না।
* মিষ্টি প্রেমীদের জন্য চাইলে একটু ঘন দুধের সঙ্গে পরিবেশন করা যেতে পারে।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:বাংলাদেশি মিষ্টান্ন]]
[[Category:ঐতিহ্যবাহী খাবার]]
[[Category:পৌষ পার্বণ]]
r9xjzkb4g70rzmjigyetamy1zlpm1r8
84552
84551
2025-06-17T00:56:46Z
Mehedi Abedin
7113
84552
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = মিষ্টান্ন
| পরিবেশন = ৫–৬ জন
| তৈরির সময় = ২ ঘণ্টা
| কষ্টসাধ্য = 3
| খাদ্য শক্তি = উচ্চ
| টীকা = ঐতিহ্যবাহী মিষ্টান্ন, যা পৌষ পার্বণ বা শীতকালে বিশেষভাবে তৈরি হয়। নারকেল ও বাদামের পুরভরা এই মিষ্টিটি গুড়ের রসে ভিজিয়ে পরিবেশন করা হয়, যার স্বাদ মনকে তৃপ্ত করে।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''বাদাম পুলি'''</big></center>
বাদাম পুলি বাংলার ঐতিহ্যবাহী এক সুস্বাদু মিষ্টি, যা সাধারাণত পৌষ মাসে তৈরি হয়। এটি চালের গুঁড়া দিয়ে তৈরি খোলার মধ্যে বাদাম ও নারকেলের মিশ্রণ পুর ভরে ভাজা হয় এবং পরে তা গুড়ের মিষ্টি রসে ডুবিয়ে পরিবেশন করা হয়। খেতে এটি যেমন মচমচে, তেমনি ভিতরে থাকে এক অপূর্ব মিষ্টি স্বাদ। যাদের ঘরে শীতকালে অতিথি আপ্যায়নের আয়োজন থাকে, তাঁদের জন্য বাদাম পুলি এক অনন্য উপাদান হতে পারে।
== উপকরণ ==
{|class="wikitable"
! উপকরণ !! পরিমাণ
|-
| চালের গুঁড়া || ২ কাপ
|-
| পানি || প্রয়োজনমতো (আটা বানানোর জন্য)
|-
| নারকেল কোরা || ১ কাপ
|-
| চিনা বাদাম (মিহি কুচি) || ১/২ কাপ
|-
| খোয়া ক্ষীর || ১/২ কাপ
|-
| চিনি বা গুড় || ১ কাপ (পুর ও সিরার জন্য)
|-
| এলাচ গুঁড়া || ১/২ চা চামচ
|-
| ঘি || ১ টেবিল চামচ (পুরে)
|-
| তেল || ভাজার জন্য
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# প্রথমে চালের গুঁড়া হালকা গরম পানিতে মেখে মাঝারি শক্ত মণ্ড তৈরি করে নিন। ঢেকে রেখে দিন ৩০ মিনিট।
# একটি পাত্রে ঘি দিয়ে নারকেল ও বাদাম একটু ভেজে নিন। এবার খোয়া ক্ষীর ও চিনি/গুড় মিশিয়ে কিছুক্ষণ নাড়ুন। এলাচ গুঁড়া দিয়ে নামিয়ে নিন। এটি হবে পুর।
# মণ্ড থেকে ছোট ছোট লেচি কেটে পাতলা করে বেলে তার মাঝে পুর ভরে পুলি আকৃতি দিন।
# সবগুলো পুলি তৈরি হলে তেল গরম করে হালকা আঁচে ভাজুন যতক্ষণ না সোনালি হয়ে যায়।
# এবার ১ কাপ চিনি বা গুড় ১ কাপ পানিতে গলিয়ে রস তৈরি করুন এবং পুলি গুলো সেই রসে ১০–১৫ মিনিট ডুবিয়ে রাখুন।
<span style=color:red;><center>'''ঠান্ডা বা হালকা গরম অবস্থায় পরিবেশন করুন।'''</center></span>
== পরামর্শ ==
* চালের গুঁড়ার মণ্ড খুব বেশি নরম বা শক্ত করা উচিত নয়।
* রস খুব বেশি পাতলা বা ঘন হলে পুলি ভালোভাবে রস শুষে নিতে পারে না।
* মিষ্টি প্রেমীদের জন্য চাইলে একটু ঘন দুধের সঙ্গে পরিবেশন করা যেতে পারে।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:বাংলাদেশি মিষ্টান্ন]]
[[Category:ঐতিহ্যবাহী খাবার]]
[[Category:পৌষ পার্বণ]]
n1e4js8lwv95ympbvljlvjyayapjale
রন্ধনপ্রণালী:পুদিনা চাটনি
104
24269
84549
84301
2025-06-17T00:54:45Z
Mehedi Abedin
7113
84549
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = পার্শ্ব পদ
| পরিবেশন = ৫–৬ জন
| তৈরির সময় = ১৫ মিনিট
| কষ্টসাধ্য = 1
| খাদ্য শক্তি = কম
| টীকা = সতেজতাপূর্ণ মসলা জাতীয় পার্শ্ব পদ, যা যেকোনো ভাজাভুজি, পরোটা, কিংবা ভাতের সঙ্গে মুখরোচক স্বাদ যোগ করে।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''পুদিনা চাটনি'''</big></center>
পুদিনা চাটনি হলো একটি তীব্র ঘ্রাণযুক্ত ও সতেজ স্বাদের পার্শ্ব পদ, যা দক্ষিণ এশিয়ায় বিশেষ করে বাংলাদেশ ও ভারতের নানা রান্নায় ব্যবহৃত হয়। এটি বিশেষ করে পরোটা, সিঙ্গাড়া, চপ কিংবা তন্দুরি জাতীয় খাবারের সঙ্গে পরিবেশন করা হয়। সহজ ও দ্রুত প্রস্তুতযোগ্য এই চাটনি ঘরে থাকা সাধারণ উপকরণ দিয়েই তৈরি করা যায়।
== উপকরণ ==
{|class="wikitable"
! উপাদান !! পরিমাণ
|-
| পুদিনা পাতা (ধোয়া) || ১ কাপ
|-
| ধনে পাতা || ১/২ কাপ
|-
| কাঁচা মরিচ || ২–৩টি (ঝালের পছন্দ অনুযায়ী)
|-
| আদা কুচি || ১ চা চামচ
|-
| রসুন কোয়া || ২টি
|-
| লেবুর রস || ১ টেবিল চামচ
|-
| বিট লবণ বা লবণ || স্বাদমতো
|-
| দই (ঐচ্ছিক, ঘন) || ২ টেবিল চামচ
|-
| পানি || ২–৩ টেবিল চামচ (প্রয়োজনমতো)
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# প্রথমে পুদিনা পাতা ও ধনে পাতার ভালোভাবে ধুয়ে নিন এবং পানি ঝরিয়ে নিন।
# একটি শিলপাটা বা মসলা বাটার পাত্রে পুদিনা, ধনে, কাঁচা মরিচ, আদা, রসুন, লবণ এবং লেবুর রস দিয়ে বাটুন বা ব্লেন্ড করুন।
# প্রয়োজনে অল্প পানি দিন যাতে মিশ্রণটি মিহি হয়।
# চাইলে স্বাদে মাখন মাখন ভাব আনার জন্য অল্প ঘন দই মেশানো যায়।
# চাটনি ঠান্ডা করে পরিবেশন করুন।
== পরিবেশন ==
পুদিনা চাটনি পরিবেশন করা যায় পরোটা, চপ, সিঙ্গাড়া, পাকোড়া কিংবা তন্দুরি রান্নার সঙ্গে। এটি যেকোনো শুকনো বা তেলে ভাজা খাবারের সঙ্গে মুখের স্বাদ বাড়াতে দারুণ সহায়ক।
== পরামর্শ ==
* পুদিনা পাতার অতিরিক্ত ব্যবহার স্বাদ তীব্র করে ফেলতে পারে, তাই ধনে পাতার সঙ্গে ভারসাম্য বজায় রাখুন।
* চাইলে এতে টক যুক্ত করতে আমচুর বা টক আমও মেশানো যায়।
* লবণ পরিমাণমতো না হলে চাটনির স্বাদ ভারসাম্যহীন হয়ে যেতে পারে, তাই অল্প করে মিশিয়ে চেখে দেখুন।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:চাটনি ও আচার]]
[[Category:বাংলাদেশি নিরামিষ পদ]]
[[Category:পার্শ্ব পদ]]
7jllpow06yvlsv4nx22zn9uh6tktgn3
84550
84549
2025-06-17T00:55:18Z
Mehedi Abedin
7113
84550
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = পার্শ্ব পদ
| পরিবেশন = ৫–৬ জন
| তৈরির সময় = ১৫ মিনিট
| কষ্টসাধ্য = 1
| খাদ্য শক্তি = কম
| টীকা = সতেজতাপূর্ণ মসলা জাতীয় পার্শ্ব পদ, যা যেকোনো ভাজাভুজি, পরোটা, কিংবা ভাতের সঙ্গে মুখরোচক স্বাদ যোগ করে।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''পুদিনা চাটনি'''</big></center>
পুদিনা চাটনি হলো একটি তীব্র ঘ্রাণযুক্ত ও সতেজ স্বাদের পার্শ্ব পদ, যা দক্ষিণ এশিয়ায় বিশেষ করে বাংলাদেশ ও ভারতের নানা রান্নায় ব্যবহৃত হয়। এটি বিশেষ করে পরোটা, সিঙ্গাড়া, চপ কিংবা তন্দুরি জাতীয় খাবারের সঙ্গে পরিবেশন করা হয়। সহজ ও দ্রুত প্রস্তুতযোগ্য এই চাটনি ঘরে থাকা সাধারণ উপকরণ দিয়েই তৈরি করা যায়।
== উপকরণ ==
{|class="wikitable"
! উপাদান !! পরিমাণ
|-
| পুদিনা পাতা (ধোয়া) || ১ কাপ
|-
| ধনে পাতা || ১/২ কাপ
|-
| কাঁচা মরিচ || ২–৩টি (ঝালের পছন্দ অনুযায়ী)
|-
| আদা কুচি || ১ চা চামচ
|-
| রসুন কোয়া || ২টি
|-
| লেবুর রস || ১ টেবিল চামচ
|-
| বিট লবণ বা লবণ || স্বাদমতো
|-
| দই (ঐচ্ছিক, ঘন) || ২ টেবিল চামচ
|-
| পানি || ২–৩ টেবিল চামচ (প্রয়োজনমতো)
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# প্রথমে পুদিনা পাতা ও ধনে পাতার ভালোভাবে ধুয়ে নিন এবং পানি ঝরিয়ে নিন।
# একটি শিলপাটা বা মসলা বাটার পাত্রে পুদিনা, ধনে, কাঁচা মরিচ, আদা, রসুন, লবণ এবং লেবুর রস দিয়ে বাটুন বা ব্লেন্ড করুন।
# প্রয়োজনে অল্প পানি দিন যাতে মিশ্রণটি মিহি হয়।
# চাইলে স্বাদে মাখন মাখন ভাব আনার জন্য অল্প ঘন দই মেশানো যায়।
# চাটনি ঠান্ডা করে পরিবেশন করুন।
<span style=color:red;><center>'''পরোটা, চপ, সিঙ্গাড়া, পাকোড়া কিংবা তন্দুরির সাথে পরিবেশন করুন।'''</center></span>
== পরামর্শ ==
* পুদিনা পাতার অতিরিক্ত ব্যবহার স্বাদ তীব্র করে ফেলতে পারে, তাই ধনে পাতার সঙ্গে ভারসাম্য বজায় রাখুন।
* চাইলে এতে টক যুক্ত করতে আমচুর বা টক আমও মেশানো যায়।
* লবণ পরিমাণমতো না হলে চাটনির স্বাদ ভারসাম্যহীন হয়ে যেতে পারে, তাই অল্প করে মিশিয়ে চেখে দেখুন।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:চাটনি ও আচার]]
[[Category:বাংলাদেশি নিরামিষ পদ]]
[[Category:পার্শ্ব পদ]]
o5jyeg7ansctnlktn9oe61jm8ogbada
রন্ধনপ্রণালী:তেঁতুলের চাটনি
104
24272
84547
84304
2025-06-17T00:53:50Z
Mehedi Abedin
7113
84547
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = পার্শ্ব পদ
| পরিবেশন = ৫–৬ জন
| তৈরির সময় = ২০ মিনিট
| কষ্টসাধ্য = 1
| খাদ্য শক্তি = মাঝারি
| টীকা = টক-মিষ্টি ও মুখরোচক পার্শ্ব পদ, যা সিঙ্গাড়া, পুরি, চপ বা মুড়ির সাথে খেতে দারুণ লাগে।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''তেঁতুলের চাটনি'''</big></center>
তেঁতুলের চাটনি একটি সুস্বাদু ও টক-মিষ্টি পার্শ্ব পদ, যা বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলেই প্রিয়। এটি মুখরোচক এবং হজমে সহায়ক বলে অনেকেই খাবারের শেষে বা ভাজাভুজির সঙ্গে পরিবেশন করেন। এই চাটনি তৈরিতে সময় কম লাগে এবং উপকরণও সহজলভ্য।
== উপকরণ ==
{|class="wikitable"
! উপাদান !! পরিমাণ
|-
| শুকনো তেঁতুল || ১ কাপ (ভিজিয়ে রাখুন)
|-
| চিনি বা গুড় || ১/২ কাপ (স্বাদ অনুযায়ী কম-বেশি করা যায়)
|-
| শুকনা মরিচ গুঁড়া || ১ চা চামচ
|-
| ভাজা জিরা গুঁড়া || ১ চা চামচ
|-
| বিট লবণ || ১ চা চামচ
|-
| লবণ || স্বাদমতো
|-
| পানি || প্রয়োজনমতো
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# প্রথমে তেঁতুল সামান্য গরম পানিতে ভিজিয়ে রাখুন ১৫–২০ মিনিট।
# ভালোভাবে নেড়ে বীজ ছেঁকে ক্বাথ বের করে নিন।
# একটি হাঁড়িতে তেঁতুলের ক্বাথ, চিনি বা গুড় দিয়ে দিন এবং অল্প আঁচে জ্বাল দিন।
# মিশ্রণটি ঘন হতে শুরু করলে তাতে শুকনা মরিচ গুঁড়া, ভাজা জিরা গুঁড়া, বিট লবণ ও স্বাদমতো লবণ দিন।
# ঘন হয়ে এলে নামিয়ে ঠান্ডা করুন।
# সম্পূর্ণ ঠান্ডা হলে সংরক্ষণ করতে পারেন বয়ামে।
== পরিবেশন ==
এই চাটনি পরিবেশন করা যায় সিঙ্গাড়া, পুরি, আলুর চপ, বেগুনি কিংবা মুড়ির সঙ্গে। টক-মিষ্টি এই স্বাদ খাবারের স্বাভাবিক রুচি বাড়িয়ে তোলে।
== পরামর্শ ==
* গুড় ব্যবহার করলে চাটনির রং আরও গাঢ় হয় ও স্বাদে ভিন্নতা আসে।
* চাইলে সামান্য আদা কুচি বা কাঁচা মরিচ কুচি মেশানো যেতে পারে বাড়তি স্বাদের জন্য।
* ভাজা জিরা গুঁড়া না থাকলে শুষ্ক জিরা হালকা ভেজে গুঁড়ো করে ব্যবহার করতে পারেন।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
3hp3xj7n13krltjzwujovi3dfj0m0q4
84548
84547
2025-06-17T00:54:18Z
Mehedi Abedin
7113
84548
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = পার্শ্ব পদ
| পরিবেশন = ৫–৬ জন
| তৈরির সময় = ২০ মিনিট
| কষ্টসাধ্য = 1
| খাদ্য শক্তি = মাঝারি
| টীকা = টক-মিষ্টি ও মুখরোচক পার্শ্ব পদ, যা সিঙ্গাড়া, পুরি, চপ বা মুড়ির সাথে খেতে দারুণ লাগে।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''তেঁতুলের চাটনি'''</big></center>
তেঁতুলের চাটনি একটি সুস্বাদু ও টক-মিষ্টি পার্শ্ব পদ, যা বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলেই প্রিয়। এটি মুখরোচক এবং হজমে সহায়ক বলে অনেকেই খাবারের শেষে বা ভাজাভুজির সঙ্গে পরিবেশন করেন। এই চাটনি তৈরিতে সময় কম লাগে এবং উপকরণও সহজলভ্য।
== উপকরণ ==
{|class="wikitable"
! উপাদান !! পরিমাণ
|-
| শুকনো তেঁতুল || ১ কাপ (ভিজিয়ে রাখুন)
|-
| চিনি বা গুড় || ১/২ কাপ (স্বাদ অনুযায়ী কম-বেশি করা যায়)
|-
| শুকনা মরিচ গুঁড়া || ১ চা চামচ
|-
| ভাজা জিরা গুঁড়া || ১ চা চামচ
|-
| বিট লবণ || ১ চা চামচ
|-
| লবণ || স্বাদমতো
|-
| পানি || প্রয়োজনমতো
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# প্রথমে তেঁতুল সামান্য গরম পানিতে ভিজিয়ে রাখুন ১৫–২০ মিনিট।
# ভালোভাবে নেড়ে বীজ ছেঁকে ক্বাথ বের করে নিন।
# একটি হাঁড়িতে তেঁতুলের ক্বাথ, চিনি বা গুড় দিয়ে দিন এবং অল্প আঁচে জ্বাল দিন।
# মিশ্রণটি ঘন হতে শুরু করলে তাতে শুকনা মরিচ গুঁড়া, ভাজা জিরা গুঁড়া, বিট লবণ ও স্বাদমতো লবণ দিন।
# ঘন হয়ে এলে নামিয়ে ঠান্ডা করুন।
# সম্পূর্ণ ঠান্ডা হলে সংরক্ষণ করতে পারেন বয়ামে।
<span style=color:red;><center>'''সিঙ্গাড়া, পুরি, আলুর চপ, বেগুনি কিংবা মুড়ির সঙ্গে পরিবেশন করুন।'''</center></span>
== পরামর্শ ==
* গুড় ব্যবহার করলে চাটনির রং আরও গাঢ় হয় ও স্বাদে ভিন্নতা আসে।
* চাইলে সামান্য আদা কুচি বা কাঁচা মরিচ কুচি মেশানো যেতে পারে বাড়তি স্বাদের জন্য।
* ভাজা জিরা গুঁড়া না থাকলে শুষ্ক জিরা হালকা ভেজে গুঁড়ো করে ব্যবহার করতে পারেন।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
2vhyby3kwdqvbtmpeoku0yod80iz1d4
রন্ধনপ্রণালী:ম্যাংগো মিল্কশেক
104
24276
84545
84306
2025-06-17T00:53:07Z
Mehedi Abedin
7113
84545
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = পানীয়
| পরিবেশন = ২–৩ জন
| তৈরির সময় = ১০ মিনিট
| কষ্টসাধ্য = 1
| খাদ্য শক্তি = উচ্চ
| টীকা = মিষ্টি, ঘন এবং ঠান্ডা পানীয়, যা গরমে প্রশান্তি দেয় এবং পাকা আমের স্বাদে ভরপুর।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''ম্যাংগো মিল্কশেক'''</big></center>
ম্যাংগো মিল্কশেক বাংলাদেশের গ্রীষ্মকালের একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় পানীয়। এটি পাকা রসালো আম, ঠান্ডা দুধ এবং সামান্য চিনি দিয়ে তৈরি করা হয়। মিল্কশেকটি ঘন, মোলায়েম ও অতিমিষ্ট স্বাদের হওয়ায় ছোট-বড় সকলের পছন্দ। এটি শুধু স্বাদের জন্য নয়, পুষ্টির জন্যও একটি চমৎকার পানীয়।
== উপকরণ ==
{|class="wikitable"
! উপাদান !! পরিমাণ
|-
| পাকা আম (খোসা ছাড়ানো ও টুকরো করা) || ২ কাপ
|-
| ঠান্ডা দুধ || ১ কাপ
|-
| চিনি || ২ টেবিল চামচ (স্বাদ অনুযায়ী)
|-
| বরফ কুচি || ১/২ কাপ (ঐচ্ছিক)
|-
| দুধের সর বা ঘন দুধ || ২ টেবিল চামচ (ঐচ্ছিক)
|-
| কাজু বা বাদাম কুচি || পরিবেশনের জন্য (ঐচ্ছিক)
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# প্রথমে আম ভালো করে ধুয়ে খোসা ছাড়িয়ে টুকরো করে নিন।
# একটি ব্লেন্ডারে আমের টুকরো, ঠান্ডা দুধ, চিনি এবং বরফ কুচি দিয়ে ভালোভাবে মেশান যতক্ষণ না মিশ্রণটি একেবারে ঘন ও মোলায়েম হয়।
# যদি ঘনত্ব আরও বাড়াতে চান, তবে ঘন দুধ বা সর যোগ করতে পারেন।
# একবার মিশ্রণ হয়ে গেলে গ্লাসে ঢেলে মিল্কশেকের উপরে বাদাম কুচি ছিটিয়ে পরিবেশন করুন।
== পরিবেশন ==
ম্যাংগো মিল্কশেক ঠান্ডা অবস্থায় পরিবেশন করুন। এটি সকালের নাশতা, বিকেলের পানীয় কিংবা অতিথি আপ্যায়নের জন্য চমৎকার একটি আইটেম।
== পরামর্শ ==
* খুব ঘন শেক চাইলে বরফের বদলে দুধ কমিয়ে দিন।
* ডায়েট অনুসরণকারীরা চিনি না দিয়ে মধু ব্যবহার করতে পারেন।
* খালি পেটে বা খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এটি খাওয়া পরিপাকতন্ত্রের জন্য আরামদায়ক।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:পানীয়]]
[[Category:গ্রীষ্মকালীন খাবার]]
[[Category:ফলের পানীয়]]
auagbdu5n2dmb39syazvgh92m659l2o
84546
84545
2025-06-17T00:53:26Z
Mehedi Abedin
7113
84546
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = পানীয়
| পরিবেশন = ২–৩ জন
| তৈরির সময় = ১০ মিনিট
| কষ্টসাধ্য = 1
| খাদ্য শক্তি = উচ্চ
| টীকা = মিষ্টি, ঘন এবং ঠান্ডা পানীয়, যা গরমে প্রশান্তি দেয় এবং পাকা আমের স্বাদে ভরপুর।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''ম্যাংগো মিল্কশেক'''</big></center>
ম্যাংগো মিল্কশেক বাংলাদেশের গ্রীষ্মকালের একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় পানীয়। এটি পাকা রসালো আম, ঠান্ডা দুধ এবং সামান্য চিনি দিয়ে তৈরি করা হয়। মিল্কশেকটি ঘন, মোলায়েম ও অতিমিষ্ট স্বাদের হওয়ায় ছোট-বড় সকলের পছন্দ। এটি শুধু স্বাদের জন্য নয়, পুষ্টির জন্যও একটি চমৎকার পানীয়।
== উপকরণ ==
{|class="wikitable"
! উপাদান !! পরিমাণ
|-
| পাকা আম (খোসা ছাড়ানো ও টুকরো করা) || ২ কাপ
|-
| ঠান্ডা দুধ || ১ কাপ
|-
| চিনি || ২ টেবিল চামচ (স্বাদ অনুযায়ী)
|-
| বরফ কুচি || ১/২ কাপ (ঐচ্ছিক)
|-
| দুধের সর বা ঘন দুধ || ২ টেবিল চামচ (ঐচ্ছিক)
|-
| কাজু বা বাদাম কুচি || পরিবেশনের জন্য (ঐচ্ছিক)
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# প্রথমে আম ভালো করে ধুয়ে খোসা ছাড়িয়ে টুকরো করে নিন।
# একটি ব্লেন্ডারে আমের টুকরো, ঠান্ডা দুধ, চিনি এবং বরফ কুচি দিয়ে ভালোভাবে মেশান যতক্ষণ না মিশ্রণটি একেবারে ঘন ও মোলায়েম হয়।
# যদি ঘনত্ব আরও বাড়াতে চান, তবে ঘন দুধ বা সর যোগ করতে পারেন।
# একবার মিশ্রণ হয়ে গেলে গ্লাসে ঢেলে মিল্কশেকের উপরে বাদাম কুচি ছিটিয়ে পরিবেশন করুন।
<span style=color:red;><center>'''ঠান্ডা অবস্থায় পরিবেশন করুন।'''</center></span>
== পরামর্শ ==
* খুব ঘন শেক চাইলে বরফের বদলে দুধ কমিয়ে দিন।
* ডায়েট অনুসরণকারীরা চিনি না দিয়ে মধু ব্যবহার করতে পারেন।
* খালি পেটে বা খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এটি খাওয়া পরিপাকতন্ত্রের জন্য আরামদায়ক।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:পানীয়]]
[[Category:গ্রীষ্মকালীন খাবার]]
[[Category:ফলের পানীয়]]
o6rz8wjm8txpnabbeatbhybr6tndk26
রন্ধনপ্রণালী:স্ট্রবেরি লাচ্ছি
104
24279
84543
84311
2025-06-17T00:52:26Z
Mehedi Abedin
7113
84543
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = পানীয়
| পরিবেশন = ২–৩ জন
| তৈরির সময় = ১০ মিনিট
| কষ্টসাধ্য = 1
| খাদ্য শক্তি = মাঝারি
| টীকা = মিষ্টি ও হালকা টকদইয়ের পানীয়, যাতে স্ট্রাবেরির স্বাদ যুক্ত হয়ে আরও তাজা ও রঙিন হয়ে ওঠে।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''স্ট্রবেরি লাচ্ছি'''</big></center>
স্ট্রাবেরি লাচ্ছি হলো একটি সুস্বাদু ও পুষ্টিকর গ্রীষ্মকালীন পানীয়, যা প্রথাগত লাচ্ছির আধুনিক একটি রূপ। এতে ব্যবহৃত হয় টকদই, স্ট্রবেরি এবং চিনি, যা একত্রে মিশে তৈরি করে রঙিন, ঘন এবং মোলায়েম একটি পানীয়। এটি গরমে প্রশান্তি দেয় এবং শরীরকে ঠান্ডা রাখে।
== উপকরণ ==
{|class="wikitable"
! উপাদান !! পরিমাণ
|-
| টকদই || ১ কাপ
|-
| স্ট্রবেরি (কেটে রাখার পাশাপাশি সাজানোর জন্য কিছু) || ১/২ কাপ
|-
| চিনি || ২ টেবিল চামচ (স্বাদমতো)
|-
| গোলাপ জল || ১ চা চামচ (ঐচ্ছিক)
|-
| বরফ কুচি || ১/২ কাপ (ঐচ্ছিক)
|-
| ঠান্ডা পানি || ১/২ কাপ
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# প্রথমে স্ট্রবেরিগুলো ভালো করে ধুয়ে কেটে নিন।
# একটি ব্লেন্ডারে টকদই, স্ট্রবেরি, চিনি, ঠান্ডা পানি ও বরফ কুচি দিয়ে ভালোভাবে মেশান যতক্ষণ না একটি ঘন, মিহি মিশ্রণ তৈরি হয়।
# যদি ঘ্রাণ বাড়াতে চান তবে গোলাপ জল যোগ করতে পারেন।
# শীতল গ্লাসে ঢেলে ওপরে কিছু স্ট্রবেরি কুচি দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন।
== পরিবেশন ==
স্ট্রবেরি লাচ্ছি ঠান্ডা অবস্থায় পরিবেশন করুন দুপুরের খাবারের পরে বা বিকেলের পানীয় হিসেবে। এটি শরীর ঠান্ডা রাখে এবং মিষ্টি স্বাদের কারণে সবার পছন্দ হয়।
== পরামর্শ ==
* বেশি ঘন লাচ্ছি চাইলে পানি কম দিন।
* যদি টকদই বেশি টক হয় তবে চিনি সামান্য বেশি ব্যবহার করা যায়।
* ডায়েট অনুসরণকারীরা চিনি বাদ দিয়ে মধু ব্যবহার করতে পারেন।
[[Category:ফলের পানীয়]]
[[Category:গ্রীষ্মকালীন খাবার]]
p84jnwn5w7an1mt05fbama6dybr8qdd
84544
84543
2025-06-17T00:52:42Z
Mehedi Abedin
7113
84544
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = পানীয়
| পরিবেশন = ২–৩ জন
| তৈরির সময় = ১০ মিনিট
| কষ্টসাধ্য = 1
| খাদ্য শক্তি = মাঝারি
| টীকা = মিষ্টি ও হালকা টকদইয়ের পানীয়, যাতে স্ট্রাবেরির স্বাদ যুক্ত হয়ে আরও তাজা ও রঙিন হয়ে ওঠে।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''স্ট্রবেরি লাচ্ছি'''</big></center>
স্ট্রাবেরি লাচ্ছি হলো একটি সুস্বাদু ও পুষ্টিকর গ্রীষ্মকালীন পানীয়, যা প্রথাগত লাচ্ছির আধুনিক একটি রূপ। এতে ব্যবহৃত হয় টকদই, স্ট্রবেরি এবং চিনি, যা একত্রে মিশে তৈরি করে রঙিন, ঘন এবং মোলায়েম একটি পানীয়। এটি গরমে প্রশান্তি দেয় এবং শরীরকে ঠান্ডা রাখে।
== উপকরণ ==
{|class="wikitable"
! উপাদান !! পরিমাণ
|-
| টকদই || ১ কাপ
|-
| স্ট্রবেরি (কেটে রাখার পাশাপাশি সাজানোর জন্য কিছু) || ১/২ কাপ
|-
| চিনি || ২ টেবিল চামচ (স্বাদমতো)
|-
| গোলাপ জল || ১ চা চামচ (ঐচ্ছিক)
|-
| বরফ কুচি || ১/২ কাপ (ঐচ্ছিক)
|-
| ঠান্ডা পানি || ১/২ কাপ
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# প্রথমে স্ট্রবেরিগুলো ভালো করে ধুয়ে কেটে নিন।
# একটি ব্লেন্ডারে টকদই, স্ট্রবেরি, চিনি, ঠান্ডা পানি ও বরফ কুচি দিয়ে ভালোভাবে মেশান যতক্ষণ না একটি ঘন, মিহি মিশ্রণ তৈরি হয়।
# যদি ঘ্রাণ বাড়াতে চান তবে গোলাপ জল যোগ করতে পারেন।
<span style=color:red;><center>'''শীতল গ্লাসে ঢেলে ওপরে কিছু স্ট্রবেরি কুচি দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন।'''</center></span>
== পরিবেশন ==
স্ট্রবেরি লাচ্ছি ঠান্ডা অবস্থায় পরিবেশন করুন দুপুরের খাবারের পরে বা বিকেলের পানীয় হিসেবে। এটি শরীর ঠান্ডা রাখে এবং মিষ্টি স্বাদের কারণে সবার পছন্দ হয়।
== পরামর্শ ==
* বেশি ঘন লাচ্ছি চাইলে পানি কম দিন।
* যদি টকদই বেশি টক হয় তবে চিনি সামান্য বেশি ব্যবহার করা যায়।
* ডায়েট অনুসরণকারীরা চিনি বাদ দিয়ে মধু ব্যবহার করতে পারেন।
[[Category:ফলের পানীয়]]
[[Category:গ্রীষ্মকালীন খাবার]]
80rj0i7eeiwcawu3bjplalrf08imrwc
রন্ধনপ্রণালী:স্ট্রবেরি মিল্কশেক
104
24281
84540
84314
2025-06-17T00:51:19Z
Mehedi Abedin
7113
84540
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = পানীয়
| পরিবেশন = ২–৩ জন
| তৈরির সময় = ১০ মিনিট
| কষ্টসাধ্য = 1
| খাদ্য শক্তি = উচ্চ
| টীকা = সুস্বাদু ও পুষ্টিকর পানীয় যা বিশেষ করে গ্রীষ্মকালে অনেক জনপ্রিয়, ছোট–বড় সবার জন্য উপযোগী।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''স্ট্রবেরি মিল্কশেক'''</big></center>
স্ট্রবেরি মিল্কশেক হলো একটি ঘন ও সুগন্ধযুক্ত পানীয়, যা দুধ, স্ট্রবেরি ও চিনি দিয়ে তৈরি করা হয়। এটি একটি স্বাস্থ্যকর ও তৃপ্তিদায়ক পানীয় হিসেবে পরিচিত। বিশেষ করে গ্রীষ্মকালে এটি শরীর ঠান্ডা রাখে এবং তাৎক্ষণিক শক্তি যোগাতে সহায়তা করে।
== উপকরণ ==
{|class="wikitable"
! উপাদান !! পরিমাণ
|-
| তাজা স্ট্রবেরি (ধুয়ে কাটা) || ১ কাপ
|-
| ঠান্ডা দুধ || ১ কাপ
|-
| চিনি || ২ টেবিল চামচ (স্বাদমতো)
|-
| বরফ কুচি || ১/২ কাপ
|-
| ভ্যানিলা নির্যাস || ১/২ চা চামচ (ঐচ্ছিক)
|-
| ফেটানো দুধের সর / ক্রীম || ২ টেবিল চামচ (ঐচ্ছিক)
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# প্রথমে স্ট্রবেরিগুলো ভালোভাবে ধুয়ে ছোট ছোট করে কেটে নিন।
# একটি ব্লেন্ডারে স্ট্রবেরি, ঠান্ডা দুধ, চিনি, বরফ কুচি এবং ভ্যানিলা নির্যাস একসঙ্গে দিন।
# সব উপকরণ মিহি এবং ঘন হওয়া পর্যন্ত ভালোভাবে ব্লেন্ড করুন।
# চাইলে আরও ঘন করার জন্য ক্রিম যোগ করা যেতে পারে।
# একটি ঠান্ডা গ্লাসে ঢেলে উপরে স্ট্রবেরি বা দুধের সর দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন।
== পরিবেশন ==
স্ট্রবেরি মিল্কশেক দুপুরে বা বিকেলে পান করার জন্য আদর্শ। গরমের দিনে এটি দেহ ও মনের প্রশান্তি এনে দেয়। এটি শিশুরাও অত্যন্ত পছন্দ করে।
== পরামর্শ ==
* যদি দুধ ঘন না হয়, তবে ফুটিয়ে ঠান্ডা করে ব্যবহার করুন।
* চিনি না দিয়ে মধু ব্যবহার করলে এটি আরও স্বাস্থ্যকর হয়।
* চাইলে স্ট্রবেরির সঙ্গে কলাও যোগ করা যায় আরও ঘনত্ব ও পুষ্টি পাওয়ার জন্য।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:পানীয়]]
[[Category:ফলের পানীয়]]
[[Category:দুধ জাতীয় পানীয়]]
[[Category:গ্রীষ্মকালীন খাবার]]
trcbvbn8qpfqcqy3vbhj0cuzgent1h9
84541
84540
2025-06-17T00:51:47Z
Mehedi Abedin
7113
84541
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = পানীয়
| পরিবেশন = ২–৩ জন
| তৈরির সময় = ১০ মিনিট
| কষ্টসাধ্য = 1
| খাদ্য শক্তি = উচ্চ
| টীকা = সুস্বাদু ও পুষ্টিকর পানীয় যা বিশেষ করে গ্রীষ্মকালে অনেক জনপ্রিয়, ছোট–বড় সবার জন্য উপযোগী।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''স্ট্রবেরি মিল্কশেক'''</big></center>
স্ট্রবেরি মিল্কশেক হলো একটি ঘন ও সুগন্ধযুক্ত পানীয়, যা দুধ, স্ট্রবেরি ও চিনি দিয়ে তৈরি করা হয়। এটি একটি স্বাস্থ্যকর ও তৃপ্তিদায়ক পানীয় হিসেবে পরিচিত। বিশেষ করে গ্রীষ্মকালে এটি শরীর ঠান্ডা রাখে এবং তাৎক্ষণিক শক্তি যোগাতে সহায়তা করে।
== উপকরণ ==
{|class="wikitable"
! উপাদান !! পরিমাণ
|-
| তাজা স্ট্রবেরি (ধুয়ে কাটা) || ১ কাপ
|-
| ঠান্ডা দুধ || ১ কাপ
|-
| চিনি || ২ টেবিল চামচ (স্বাদমতো)
|-
| বরফ কুচি || ১/২ কাপ
|-
| ভ্যানিলা নির্যাস || ১/২ চা চামচ (ঐচ্ছিক)
|-
| ফেটানো দুধের সর / ক্রীম || ২ টেবিল চামচ (ঐচ্ছিক)
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# প্রথমে স্ট্রবেরিগুলো ভালোভাবে ধুয়ে ছোট ছোট করে কেটে নিন।
# একটি ব্লেন্ডারে স্ট্রবেরি, ঠান্ডা দুধ, চিনি, বরফ কুচি এবং ভ্যানিলা নির্যাস একসঙ্গে দিন।
# সব উপকরণ মিহি এবং ঘন হওয়া পর্যন্ত ভালোভাবে ব্লেন্ড করুন।
# চাইলে আরও ঘন করার জন্য ক্রিম যোগ করা যেতে পারে।
# একটি ঠান্ডা গ্লাসে ঢেলে উপরে স্ট্রবেরি বা দুধের সর দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন।
== পরামর্শ ==
* যদি দুধ ঘন না হয়, তবে ফুটিয়ে ঠান্ডা করে ব্যবহার করুন।
* চিনি না দিয়ে মধু ব্যবহার করলে এটি আরও স্বাস্থ্যকর হয়।
* চাইলে স্ট্রবেরির সঙ্গে কলাও যোগ করা যায় আরও ঘনত্ব ও পুষ্টি পাওয়ার জন্য।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:পানীয়]]
[[Category:ফলের পানীয়]]
[[Category:দুধ জাতীয় পানীয়]]
[[Category:গ্রীষ্মকালীন খাবার]]
dyocyiyyhnepb7zabizol5ke109viul
84542
84541
2025-06-17T00:52:04Z
Mehedi Abedin
7113
84542
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = পানীয়
| পরিবেশন = ২–৩ জন
| তৈরির সময় = ১০ মিনিট
| কষ্টসাধ্য = 1
| খাদ্য শক্তি = উচ্চ
| টীকা = সুস্বাদু ও পুষ্টিকর পানীয় যা বিশেষ করে গ্রীষ্মকালে অনেক জনপ্রিয়, ছোট–বড় সবার জন্য উপযোগী।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''স্ট্রবেরি মিল্কশেক'''</big></center>
স্ট্রবেরি মিল্কশেক হলো একটি ঘন ও সুগন্ধযুক্ত পানীয়, যা দুধ, স্ট্রবেরি ও চিনি দিয়ে তৈরি করা হয়। এটি একটি স্বাস্থ্যকর ও তৃপ্তিদায়ক পানীয় হিসেবে পরিচিত। বিশেষ করে গ্রীষ্মকালে এটি শরীর ঠান্ডা রাখে এবং তাৎক্ষণিক শক্তি যোগাতে সহায়তা করে।
== উপকরণ ==
{|class="wikitable"
! উপাদান !! পরিমাণ
|-
| তাজা স্ট্রবেরি (ধুয়ে কাটা) || ১ কাপ
|-
| ঠান্ডা দুধ || ১ কাপ
|-
| চিনি || ২ টেবিল চামচ (স্বাদমতো)
|-
| বরফ কুচি || ১/২ কাপ
|-
| ভ্যানিলা নির্যাস || ১/২ চা চামচ (ঐচ্ছিক)
|-
| ফেটানো দুধের সর / ক্রীম || ২ টেবিল চামচ (ঐচ্ছিক)
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# প্রথমে স্ট্রবেরিগুলো ভালোভাবে ধুয়ে ছোট ছোট করে কেটে নিন।
# একটি ব্লেন্ডারে স্ট্রবেরি, ঠান্ডা দুধ, চিনি, বরফ কুচি এবং ভ্যানিলা নির্যাস একসঙ্গে দিন।
# সব উপকরণ মিহি এবং ঘন হওয়া পর্যন্ত ভালোভাবে ব্লেন্ড করুন।
# চাইলে আরও ঘন করার জন্য ক্রিম যোগ করা যেতে পারে।
<span style=color:red;><center>'''ঠান্ডা গ্লাসে ঢেলে উপরে স্ট্রবেরি বা দুধের সর দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন।'''</center></span>
== পরামর্শ ==
* যদি দুধ ঘন না হয়, তবে ফুটিয়ে ঠান্ডা করে ব্যবহার করুন।
* চিনি না দিয়ে মধু ব্যবহার করলে এটি আরও স্বাস্থ্যকর হয়।
* চাইলে স্ট্রবেরির সঙ্গে কলাও যোগ করা যায় আরও ঘনত্ব ও পুষ্টি পাওয়ার জন্য।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:পানীয়]]
[[Category:ফলের পানীয়]]
[[Category:দুধ জাতীয় পানীয়]]
[[Category:গ্রীষ্মকালীন খাবার]]
97g94hzith2yllr4jv48plitkls54e8
রন্ধনপ্রণালী:চিকেন নাগা কারি
104
24363
84538
84363
2025-06-17T00:50:06Z
Mehedi Abedin
7113
84538
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = প্রধান খাবার
| পরিবেশন = ৪ জন
| তৈরির সময় = ১ ঘণ্টা ১৫ মিনিট
| কষ্টসাধ্য = 3
| খাদ্য শক্তি = উচ্চ
| টীকা = মসলাদার ঝাল এবং সুগন্ধযুক্ত মুরগির তরকারি, যা বাংলাদেশের নাগা মরিচের ঝাঁজ ও স্বাদের জন্য বিখ্যাত।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''চিকেন নাগা কারি'''</big></center>
চিকেন নাগা কারি হলো এমন এক অনন্য মুরগির তরকারি যা স্বাদ, ঘ্রাণ এবং ঝালের দিক থেকে একেবারেই আলাদা। এতে ব্যবহৃত হয় বাংলাদেশের বিখ্যাত নাগা মরিচ, যা বিশ্বের অন্যতম ঝাল মরিচ হিসেবে পরিচিত। নাগা মরিচের তীব্রতা ও স্বাদের কারণে এই পদটি ঝালপ্রেমীদের কাছে এক প্রিয় নাম। এই তরকারি শুধুমাত্র স্বাদেই নয়, ঘ্রাণেও আকর্ষণীয়, যা একবার খেলে সহজে ভোলা যায় না।
== উপকরণ ==
{|class="wikitable"
! উপাদান !! পরিমাণ
|-
| মুরগির মাংস (হাঁসিল কাটা) || ১ কেজি
|-
| পেঁয়াজ কুচি || ১ কাপ
|-
| রসুন বাটা || ২ টেবিল চামচ
|-
| আদা বাটা || ২ টেবিল চামচ
|-
| টক দই || ১/২ কাপ
|-
| টমেটো কুচি || ১/২ কাপ
|-
| কাঁচা মরিচ || ৬–৮টি
|-
| শুকনো মরিচ গুঁড়া || ১ চা চামচ
|-
| হলুদ গুঁড়া || ১ চা চামচ
|-
| ধনে গুঁড়া || ১ চা চামচ
|-
| জিরা গুঁড়া || ১ চা চামচ
|-
| গরম মসলা গুঁড়া || ১ চা চামচ
|-
| নাগা মরিচ (গুঁড়া/পেস্ট) || ১–২টি (স্বাদ অনুযায়ী কম-বেশি)
|-
| লবণ || স্বাদমতো
|-
| সরিষার তেল || ১/২ কাপ
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# মুরগির মাংস ভালো করে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে রাখুন।
# একটি পাত্রে পেঁয়াজ, আদা, রসুন, টক দই, শুকনো মরিচ, ধনে, জিরা, হলুদ ও লবণ দিয়ে একটি মসলার মিশ্রণ তৈরি করুন।
# সেই মিশ্রণে মুরগির মাংস মিশিয়ে নিন এবং কমপক্ষে ৩০ মিনিট মেরিনেট করে রাখুন।
# একটি হাঁড়িতে তেল গরম করে কাঁচা মরিচ এবং কিছু পেঁয়াজ দিয়ে ভাজুন যতক্ষণ না হালকা বাদামি হয়।
# এতে মেরিনেট করা মুরগি দিয়ে দিন এবং কিছুক্ষণ মাঝারি আঁচে নেড়ে নিন।
# মুরগি থেকে পানি ছাড়লে টমেটো এবং নাগা মরিচ দিন।
# ঢেকে দিন এবং অল্প আঁচে রান্না করুন যতক্ষণ না মাংস সেদ্ধ হয় ও মসলা ভালোভাবে কষানো হয়।
# শেষে গরম মসলা ছিটিয়ে দিয়ে ঢেকে কিছুক্ষণ দমে রাখুন।
== পরিবেশন ==
চিকেন নাগা কারি গরম ভাত, পরোটা বা রুটির সঙ্গে দারুণ মানানসই। এটি রাত্রের খাবার বা অতিথি আপ্যায়নে একটি চমৎকার ঝাল পদ হিসেবে পরিবেশন করা যায়।
== পরামর্শ ==
* নাগা মরিচ ব্যবহারে সতর্ক থাকুন – এটি অত্যন্ত ঝাল এবং মাত্রারিক্ত হলে খাবার অখাদ্য হতে পারে।
* চাইলে নাগা মরিচ ভাটার পরিবর্তে শুকনো নাগা মরিচ ভিজিয়ে গুঁড়া করে ব্যবহার করতে পারেন।
* দই ব্যবহারে তরকারির ঝাঁজ কিছুটা ভারসাম্য পায় এবং মাংস নরম হয়।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:প্রধান খাবার]]
[[Category:বাংলাদেশী মাংসের পদ]]
[[Category:ঝাল খাবার]]
[[Category:ঐতিহ্যবাহী খাবার]]
6932niu1fqwf6cio588wjo8anmyhpgg
84539
84538
2025-06-17T00:50:33Z
Mehedi Abedin
7113
84539
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = প্রধান খাবার
| পরিবেশন = ৪ জন
| তৈরির সময় = ১ ঘণ্টা ১৫ মিনিট
| কষ্টসাধ্য = 3
| খাদ্য শক্তি = উচ্চ
| টীকা = মসলাদার ঝাল এবং সুগন্ধযুক্ত মুরগির তরকারি, যা বাংলাদেশের নাগা মরিচের ঝাঁজ ও স্বাদের জন্য বিখ্যাত।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''চিকেন নাগা কারি'''</big></center>
চিকেন নাগা কারি হলো এমন এক অনন্য মুরগির তরকারি যা স্বাদ, ঘ্রাণ এবং ঝালের দিক থেকে একেবারেই আলাদা। এতে ব্যবহৃত হয় বাংলাদেশের বিখ্যাত নাগা মরিচ, যা বিশ্বের অন্যতম ঝাল মরিচ হিসেবে পরিচিত। নাগা মরিচের তীব্রতা ও স্বাদের কারণে এই পদটি ঝালপ্রেমীদের কাছে এক প্রিয় নাম। এই তরকারি শুধুমাত্র স্বাদেই নয়, ঘ্রাণেও আকর্ষণীয়, যা একবার খেলে সহজে ভোলা যায় না।
== উপকরণ ==
{|class="wikitable"
! উপাদান !! পরিমাণ
|-
| মুরগির মাংস (হাঁসিল কাটা) || ১ কেজি
|-
| পেঁয়াজ কুচি || ১ কাপ
|-
| রসুন বাটা || ২ টেবিল চামচ
|-
| আদা বাটা || ২ টেবিল চামচ
|-
| টক দই || ১/২ কাপ
|-
| টমেটো কুচি || ১/২ কাপ
|-
| কাঁচা মরিচ || ৬–৮টি
|-
| শুকনো মরিচ গুঁড়া || ১ চা চামচ
|-
| হলুদ গুঁড়া || ১ চা চামচ
|-
| ধনে গুঁড়া || ১ চা চামচ
|-
| জিরা গুঁড়া || ১ চা চামচ
|-
| গরম মসলা গুঁড়া || ১ চা চামচ
|-
| নাগা মরিচ (গুঁড়া/পেস্ট) || ১–২টি (স্বাদ অনুযায়ী কম-বেশি)
|-
| লবণ || স্বাদমতো
|-
| সরিষার তেল || ১/২ কাপ
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# মুরগির মাংস ভালো করে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে রাখুন।
# একটি পাত্রে পেঁয়াজ, আদা, রসুন, টক দই, শুকনো মরিচ, ধনে, জিরা, হলুদ ও লবণ দিয়ে একটি মসলার মিশ্রণ তৈরি করুন।
# সেই মিশ্রণে মুরগির মাংস মিশিয়ে নিন এবং কমপক্ষে ৩০ মিনিট মেরিনেট করে রাখুন।
# একটি হাঁড়িতে তেল গরম করে কাঁচা মরিচ এবং কিছু পেঁয়াজ দিয়ে ভাজুন যতক্ষণ না হালকা বাদামি হয়।
# এতে মেরিনেট করা মুরগি দিয়ে দিন এবং কিছুক্ষণ মাঝারি আঁচে নেড়ে নিন।
# মুরগি থেকে পানি ছাড়লে টমেটো এবং নাগা মরিচ দিন।
# ঢেকে দিন এবং অল্প আঁচে রান্না করুন যতক্ষণ না মাংস সেদ্ধ হয় ও মসলা ভালোভাবে কষানো হয়।
# শেষে গরম মসলা ছিটিয়ে দিয়ে ঢেকে কিছুক্ষণ দমে রাখুন।
<span style=color:red;><center>'''গরম ভাত, পরোটা বা রুটির সঙ্গে পরিবেশন করুন।'''</center></span>
== পরামর্শ ==
* নাগা মরিচ ব্যবহারে সতর্ক থাকুন – এটি অত্যন্ত ঝাল এবং মাত্রারিক্ত হলে খাবার অখাদ্য হতে পারে।
* চাইলে নাগা মরিচ ভাটার পরিবর্তে শুকনো নাগা মরিচ ভিজিয়ে গুঁড়া করে ব্যবহার করতে পারেন।
* দই ব্যবহারে তরকারির ঝাঁজ কিছুটা ভারসাম্য পায় এবং মাংস নরম হয়।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:প্রধান খাবার]]
[[Category:বাংলাদেশী মাংসের পদ]]
[[Category:ঝাল খাবার]]
[[Category:ঐতিহ্যবাহী খাবার]]
ny45ap7tycx20xvcdnapszan4jz1wsa
রন্ধনপ্রণালী:মুগডালের হালুয়া
104
24423
84536
84315
2025-06-17T00:49:09Z
Mehedi Abedin
7113
84536
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = মিষ্টান্ন
| পরিবেশন = ৬–৭ জন
| তৈরির সময় = ১ ঘণ্টা
| কষ্টসাধ্য = 3
| খাদ্য শক্তি = উচ্চ
| টীকা = সুগন্ধযুক্ত, ঘন ও মজাদার বাঙালি মিষ্টান্ন, যা উৎসব, পূজা-পার্বণ কিংবা অতিথি আপ্যায়নে পরিবেশিত হয়। এটি ভাজা মুগডাল, চিনি, ঘি ও বিভিন্ন মসলা দিয়ে তৈরি হয়।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''মুগডালের হালুয়া'''</big></center>
মুগডালের হালুয়া বাঙালি গৃহে ঘরে বহু পুরোনো এবং পছন্দের একটি মিষ্টি পদ। এটি মূলত ঘি দিয়ে ভাজা ডাল, দুধ ও চিনির মিশ্রণে ধীরে ধীরে রান্না করে তৈরি করা হয় এবং সুগন্ধি মসলা ও বাদাম দিয়ে এটি পরিবেশন করা হয়। এই হালুয়া শুধুমাত্র মুখরোচক নয়, এটি একটি পুষ্টিকর ও উৎসবমুখর খাবার হিসেবেও পরিচিত।
== উপকরণ ==
{|class="wikitable"
! নাম !! পরিমাণ
|-
| মুগডাল || ১ কাপ (ভাজা ও ধুয়ে নেওয়া)
|-
| দুধ || ২ কাপ
|-
| চিনি || ১ কাপ (স্বাদ অনুযায়ী কমানো যায়)
|-
| ঘি || ১/২ কাপ
|-
| এলাচ গুঁড়া || ১/২ চা চামচ
|-
| কাজুবাদাম (কুচি করে কাটা) || ২ টেবিল চামচ
|-
| কিশমিশ || ১ টেবিল চামচ
|-
| জল || ১/২ কাপ (প্রয়োজনে সামান্য বেশি)
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# প্রথমে একটি শুকনো কড়াইয়ে মুগডাল হালকা বাদামি হওয়া পর্যন্ত ভাজুন। এরপর ঠান্ডা হলে ধুয়ে নিয়ে জল ঝরিয়ে নিন।
# একটি পাত্রে মুগডাল ও জল মিশিয়ে সিদ্ধ করে নরম করে নিন (চাইলে প্রেসার কুকার ব্যবহার করতে পারেন)।
# অন্য একটি কড়াইয়ে ঘি গরম করে সিদ্ধ ডাল দিন এবং ধীরে ধীরে নাড়তে থাকুন যতক্ষণ না এটি মসৃণ ও ঘন হয়ে আসে।
# ডাল ভালোভাবে ঘি টেনে নিলে তাতে চিনি ও এলাচ গুঁড়া দিন। নাড়তে থাকুন যতক্ষণ না চিনি গলে গিয়ে হালুয়া ঘন হতে শুরু করে।
# এবার দুধ ধীরে ধীরে দিয়ে ভালোভাবে মেশান। অল্প আঁচে নাড়তে থাকুন যাতে নিচে লেগে না যায়।
# কিশমিশ ও বাদাম দিয়ে ৫–৭ মিনিট নাড়ার পর যখন হালুয়া পাত্র ছেড়ে আসবে তখন চুলা বন্ধ করুন।
# একটি চ্যাপ্টা পাত্রে ঢেলে ওপরে ঘি মাখিয়ে ও বাদাম ছড়িয়ে পরিবেশন করুন।
== পরিবেশন ==
মুগডালের হালুয়া গরম গরম অথবা ঠান্ডা করেও পরিবেশন করা যায়। এটি উৎসবে, অতিথি আপ্যায়নে বা ভিন্ন স্বাদের একটি মিষ্টি আইটেম হিসেবেও পরিবেশিত হয়।
== পরামর্শ ==
* ডাল বেশি ভাজবেন না, বেশি ভাজলে কড়া স্বাদ হতে পারে।
* দুধ কম দিতে চাইলে শুধু জলেও রান্না করা যায়, তবে স্বাদে কিছুটা পার্থক্য হবে।
* হালুয়া ঠান্ডা হলে শক্ত হয়ে যেতে পারে, তাই পরিবেশন করার আগে হালকা গরম করা যেতে পারে।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:মিষ্টান্ন]]
[[Category:বাংলাদেশি মিষ্টান্ন]]
[[Category:ঐতিহ্যবাহী খাবার]]
5fimsi4dkl3fr2vlbuznxozm478aadi
84537
84536
2025-06-17T00:49:36Z
Mehedi Abedin
7113
84537
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = মিষ্টান্ন
| পরিবেশন = ৬–৭ জন
| তৈরির সময় = ১ ঘণ্টা
| কষ্টসাধ্য = 3
| খাদ্য শক্তি = উচ্চ
| টীকা = সুগন্ধযুক্ত, ঘন ও মজাদার বাঙালি মিষ্টান্ন, যা উৎসব, পূজা-পার্বণ কিংবা অতিথি আপ্যায়নে পরিবেশিত হয়। এটি ভাজা মুগডাল, চিনি, ঘি ও বিভিন্ন মসলা দিয়ে তৈরি হয়।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''মুগডালের হালুয়া'''</big></center>
মুগডালের হালুয়া বাঙালি গৃহে ঘরে বহু পুরোনো এবং পছন্দের একটি মিষ্টি পদ। এটি মূলত ঘি দিয়ে ভাজা ডাল, দুধ ও চিনির মিশ্রণে ধীরে ধীরে রান্না করে তৈরি করা হয় এবং সুগন্ধি মসলা ও বাদাম দিয়ে এটি পরিবেশন করা হয়। এই হালুয়া শুধুমাত্র মুখরোচক নয়, এটি একটি পুষ্টিকর ও উৎসবমুখর খাবার হিসেবেও পরিচিত।
== উপকরণ ==
{|class="wikitable"
! নাম !! পরিমাণ
|-
| মুগডাল || ১ কাপ (ভাজা ও ধুয়ে নেওয়া)
|-
| দুধ || ২ কাপ
|-
| চিনি || ১ কাপ (স্বাদ অনুযায়ী কমানো যায়)
|-
| ঘি || ১/২ কাপ
|-
| এলাচ গুঁড়া || ১/২ চা চামচ
|-
| কাজুবাদাম (কুচি করে কাটা) || ২ টেবিল চামচ
|-
| কিশমিশ || ১ টেবিল চামচ
|-
| জল || ১/২ কাপ (প্রয়োজনে সামান্য বেশি)
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# প্রথমে একটি শুকনো কড়াইয়ে মুগডাল হালকা বাদামি হওয়া পর্যন্ত ভাজুন। এরপর ঠান্ডা হলে ধুয়ে নিয়ে জল ঝরিয়ে নিন।
# একটি পাত্রে মুগডাল ও জল মিশিয়ে সিদ্ধ করে নরম করে নিন (চাইলে প্রেসার কুকার ব্যবহার করতে পারেন)।
# অন্য একটি কড়াইয়ে ঘি গরম করে সিদ্ধ ডাল দিন এবং ধীরে ধীরে নাড়তে থাকুন যতক্ষণ না এটি মসৃণ ও ঘন হয়ে আসে।
# ডাল ভালোভাবে ঘি টেনে নিলে তাতে চিনি ও এলাচ গুঁড়া দিন। নাড়তে থাকুন যতক্ষণ না চিনি গলে গিয়ে হালুয়া ঘন হতে শুরু করে।
# এবার দুধ ধীরে ধীরে দিয়ে ভালোভাবে মেশান। অল্প আঁচে নাড়তে থাকুন যাতে নিচে লেগে না যায়।
# কিশমিশ ও বাদাম দিয়ে ৫–৭ মিনিট নাড়ার পর যখন হালুয়া পাত্র ছেড়ে আসবে তখন চুলা বন্ধ করুন।
# একটি চ্যাপ্টা পাত্রে ঢেলে ওপরে ঘি মাখিয়ে ও বাদাম ছড়িয়ে পরিবেশন করুন।
<span style=color:red;><center>'''গরম গরম অথবা ঠান্ডা করেও পরিবেশন করুন।'''</center></span>
== পরামর্শ ==
* ডাল বেশি ভাজবেন না, বেশি ভাজলে কড়া স্বাদ হতে পারে।
* দুধ কম দিতে চাইলে শুধু জলেও রান্না করা যায়, তবে স্বাদে কিছুটা পার্থক্য হবে।
* হালুয়া ঠান্ডা হলে শক্ত হয়ে যেতে পারে, তাই পরিবেশন করার আগে হালকা গরম করা যেতে পারে।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:মিষ্টান্ন]]
[[Category:বাংলাদেশি মিষ্টান্ন]]
[[Category:ঐতিহ্যবাহী খাবার]]
hfyclyv868ctzuuieq0gvxrpz8mulxd
রন্ধনপ্রণালী:সবজি পাকোড়া
104
24425
84534
84317
2025-06-17T00:48:12Z
Mehedi Abedin
7113
84534
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = জলখাবার
| পরিবেশন = ৩ জন
| তৈরির সময় = ৪৫ মিনিট
| কষ্টসাধ্য = 2
| খাদ্য শক্তি = মাঝারি
| টীকা = মচমচে ও সুস্বাদু জলখাবার, যা বিভিন্ন সবজি ও মসলা দিয়ে তৈরি হয়। এটি চা-নাশতা, ইফতার কিংবা সন্ধ্যায় খাওয়ার জন্য অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি পদ।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''সবজি পাকোড়া'''</big></center>
সবজি পাকোড়া একটি পরিচিত ও সহজলভ্য নাস্তা, যা প্রায় সব বাঙালি বাড়িতেই তৈরি হয়। গরম চায়ের সাথে এই মচমচে ভাজা সবজি খাবারটি যেন এক অনন্য আনন্দ দেয়। নানা রকম সবজি ব্যবহার করে তৈরি এই পাকোড়া শুধু স্বাদের জন্য নয়, বরং এর রংবেরঙের উপস্থিতিও খুব আকর্ষণীয়। এটি বাচ্চাদের টিফিন, অতিথি আপ্যায়ন কিংবা বৃষ্টিভেজা বিকেলের খাবার হিসেবেও উপযুক্ত।
== উপকরণ ==
{|class="wikitable"
! নাম !! পরিমাণ
|-
| বাঁধাকপি (কুচি করা) || ১ কাপ
|-
| গাজর (কুচি করা) || ১/২ কাপ
|-
| পেঁয়াজ (পাতলা কুচি) || ১ কাপ
|-
| কাঁচা মরিচ (কুচি করা) || ২টি
|-
| ধনেপাতা (কুচি) || ২ টেবিল চামচ
|-
| বেসন || ১ কাপ
|-
| চালের গুঁড়া || ২ টেবিল চামচ
|-
| লবণ || স্বাদমতো
|-
| হলুদ গুঁড়া || ১/৪ চা চামচ
|-
| শুকনা মরিচ গুঁড়া || ১/২ চা চামচ
|-
| বিট লবণ || ১ চিমটি (ইচ্ছা হলে)
|-
| জল || প্রয়োজনমতো (ঘন মিশ্রণ তৈরি করতে)
|-
| তেল || ভাজার জন্য
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# একটি বড় বাটিতে সমস্ত কুচি করা সবজি, পেঁয়াজ, কাঁচা মরিচ, ধনেপাতা, লবণ, মসলা, বেসন ও চালের গুঁড়া নিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন।
# সামান্য করে জল যোগ করে একটি ঘন ও আঠালো মিশ্রণ তৈরি করুন। খেয়াল রাখবেন মিশ্রণ যেন বেশি পাতলা না হয়, তাহলে পাকোড়া ভেঙে যাবে।
# একটি গভীর হাঁড়িতে তেল গরম করুন। তেল গরম হলে মাঝারি আঁচে রাখুন।
# এবার হাত দিয়ে ছোট ছোট বলের মতো বা চ্যাপ্টা আকারে মিশ্রণ নিয়ে তেলে ছেড়ে দিন।
# একেক দফায় কয়েকটি করে পাকোড়া ভেজে নিন যতক্ষণ না সোনালি বাদামি হয়ে মচমচে হয়।
# ভাজা হয়ে গেলে কিচেন টিস্যুতে উঠিয়ে অতিরিক্ত তেল শুষে নিন।
== পরিবেশন ==
সবজি পাকোড়া সাধারণত টমেটো চাটনি, পুদিনা চাটনি বা তেঁতুলের টক দিয়ে পরিবেশন করা হয়। গরম গরম চায়ের সাথে এটি একটি পরিপূর্ণ ও আরামদায়ক জলখাবার হিসেবে খুবই উপভোগ্য।
== পরামর্শ ==
* চাইলে সবজির তালিকায় ফুলকপি, পটল বা কুমড়োও যোগ করতে পারেন।
* ভাজার সময় মাঝারি আঁচে রাখলে পাকোড়া ভেতর থেকে ভালোভাবে সেদ্ধ হয় এবং বাইরে মচমচে থাকে।
* যদি মিশ্রণ থেকে পানি ছেড়ে দেয়, তাহলে সামান্য বেসন ও চালের গুঁড়া বাড়িয়ে নিতে পারেন।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:জলখাবার]]
[[Category:বাংলাদেশি খাবার]]
[[Category:সবজির পদ]]
[[Category:ঐতিহ্যবাহী খাবার]]
ity5zn5pd3plhzg0kex6ppz1gkyqz8q
84535
84534
2025-06-17T00:48:45Z
Mehedi Abedin
7113
84535
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = জলখাবার
| পরিবেশন = ৩ জন
| তৈরির সময় = ৪৫ মিনিট
| কষ্টসাধ্য = 2
| খাদ্য শক্তি = মাঝারি
| টীকা = মচমচে ও সুস্বাদু জলখাবার, যা বিভিন্ন সবজি ও মসলা দিয়ে তৈরি হয়। এটি চা-নাশতা, ইফতার কিংবা সন্ধ্যায় খাওয়ার জন্য অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি পদ।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''সবজি পাকোড়া'''</big></center>
সবজি পাকোড়া একটি পরিচিত ও সহজলভ্য নাস্তা, যা প্রায় সব বাঙালি বাড়িতেই তৈরি হয়। গরম চায়ের সাথে এই মচমচে ভাজা সবজি খাবারটি যেন এক অনন্য আনন্দ দেয়। নানা রকম সবজি ব্যবহার করে তৈরি এই পাকোড়া শুধু স্বাদের জন্য নয়, বরং এর রংবেরঙের উপস্থিতিও খুব আকর্ষণীয়। এটি বাচ্চাদের টিফিন, অতিথি আপ্যায়ন কিংবা বৃষ্টিভেজা বিকেলের খাবার হিসেবেও উপযুক্ত।
== উপকরণ ==
{|class="wikitable"
! নাম !! পরিমাণ
|-
| বাঁধাকপি (কুচি করা) || ১ কাপ
|-
| গাজর (কুচি করা) || ১/২ কাপ
|-
| পেঁয়াজ (পাতলা কুচি) || ১ কাপ
|-
| কাঁচা মরিচ (কুচি করা) || ২টি
|-
| ধনেপাতা (কুচি) || ২ টেবিল চামচ
|-
| বেসন || ১ কাপ
|-
| চালের গুঁড়া || ২ টেবিল চামচ
|-
| লবণ || স্বাদমতো
|-
| হলুদ গুঁড়া || ১/৪ চা চামচ
|-
| শুকনা মরিচ গুঁড়া || ১/২ চা চামচ
|-
| বিট লবণ || ১ চিমটি (ইচ্ছা হলে)
|-
| জল || প্রয়োজনমতো (ঘন মিশ্রণ তৈরি করতে)
|-
| তেল || ভাজার জন্য
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# একটি বড় বাটিতে সমস্ত কুচি করা সবজি, পেঁয়াজ, কাঁচা মরিচ, ধনেপাতা, লবণ, মসলা, বেসন ও চালের গুঁড়া নিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন।
# সামান্য করে জল যোগ করে একটি ঘন ও আঠালো মিশ্রণ তৈরি করুন। খেয়াল রাখবেন মিশ্রণ যেন বেশি পাতলা না হয়, তাহলে পাকোড়া ভেঙে যাবে।
# একটি গভীর হাঁড়িতে তেল গরম করুন। তেল গরম হলে মাঝারি আঁচে রাখুন।
# এবার হাত দিয়ে ছোট ছোট বলের মতো বা চ্যাপ্টা আকারে মিশ্রণ নিয়ে তেলে ছেড়ে দিন।
# একেক দফায় কয়েকটি করে পাকোড়া ভেজে নিন যতক্ষণ না সোনালি বাদামি হয়ে মচমচে হয়।
# ভাজা হয়ে গেলে কিচেন টিস্যুতে উঠিয়ে অতিরিক্ত তেল শুষে নিন।
<span style=color:red;><center>'''টমেটো চাটনি, পুদিনা চাটনি বা তেঁতুলের টক দিয়ে পরিবেশন করুন।'''</center></span>
== পরামর্শ ==
* চাইলে সবজির তালিকায় ফুলকপি, পটল বা কুমড়োও যোগ করতে পারেন।
* ভাজার সময় মাঝারি আঁচে রাখলে পাকোড়া ভেতর থেকে ভালোভাবে সেদ্ধ হয় এবং বাইরে মচমচে থাকে।
* যদি মিশ্রণ থেকে পানি ছেড়ে দেয়, তাহলে সামান্য বেসন ও চালের গুঁড়া বাড়িয়ে নিতে পারেন।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:জলখাবার]]
[[Category:বাংলাদেশি খাবার]]
[[Category:সবজির পদ]]
[[Category:ঐতিহ্যবাহী খাবার]]
ha3os1bq6ven15kibkpj7vdx12q6kc6
রন্ধনপ্রণালী:চকলেট মিল্কশেক
104
24434
84531
84319
2025-06-17T00:47:24Z
Mehedi Abedin
7113
84531
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = পানীয়
| পরিবেশন = ২ জন
| তৈরির সময় = ১৫ মিনিট
| কষ্টসাধ্য = 1
| খাদ্য শক্তি = উচ্চ
| টীকা = ঘন, মোলায়েম ও ঠান্ডা পানীয় যা দুধ, চকলেট ও আইসক্রিম দিয়ে তৈরি করা হয়। এটি শিশু ও বড়দের জন্য অত্যন্ত জনপ্রিয় এক মিষ্টি পানীয়।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''চকলেট মিল্কশেক'''</big></center>
চকলেট মিল্কশেক একটি সহজ, সুস্বাদু ও মনপ্রাণ জয় করে নেওয়া পানীয়, যা গ্রীষ্মকালে ঠান্ডা পানীয় হিসেবে বেশ জনপ্রিয়। এটি ঘরে বসেই কয়েকটি উপকরণ দিয়ে খুব সহজেই তৈরি করা যায়। বিশেষ করে গরমের দিনে এক গ্লাস ঠান্ডা চকলেট মিল্কশেক সারাদিনের ক্লান্তি দূর করে মনকে প্রশান্ত করে তোলে। শিশুদের জন্য এটি এক দুর্দান্ত বিকল্প, কারণ এতে দুধ ও চকলেট দুটোই একসাথে পাওয়া যায়, যা পুষ্টিগুণেও পরিপূর্ণ।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! উপকরণ !! পরিমাণ
|-
| ঠান্ডা দুধ || ২ কাপ
|-
| চকলেট সিরাপ বা গলানো চকলেট || ১/৩ কাপ
|-
| চকোলেট আইসক্রিম || ২ বড় স্কুপ
|-
| চিনি (প্রয়োজনে) || ১-২ চা চামচ
|-
| বরফ কুচি || ১/২ কাপ
|-
| সাজানোর জন্য চকো চিপস বা কুঁচি করা চকলেট || ইচ্ছেমতো
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# প্রথমে একটি ব্লেন্ডারে ঠান্ডা দুধ, চকলেট সিরাপ, চকোলেট আইসক্রিম ও বরফ কুচি দিন।
# প্রয়োজনে সামান্য চিনি যোগ করুন, তবে আইসক্রিম ও সিরাপে যথেষ্ট মিষ্টি থাকে, তাই চিনি বেশি প্রয়োজন নাও হতে পারে।
# ব্লেন্ডারটি ভালোমতো চালিয়ে উপকরণগুলো একত্রে মিশিয়ে নিন, যতক্ষণ না ঘন ও ফেনাযুক্ত মিল্কশেক তৈরি হয়।
# গ্লাসে ঢেলে উপর থেকে চকলেট সিরাপ ছিটিয়ে দিন।
# চাইলে চকো চিপস, কাটা বাদাম বা কুঁচি করা চকলেট ছড়িয়ে দিন শোভা ও স্বাদের জন্য।
== পরিবেশন ==
ঠান্ডা অবস্থায় পরিবেশন করুন। এটি বিকেলে হালকা নাস্তার সাথে বা শুধু একটি দামি পানীয় হিসেবেও উপভোগ করা যায়।
== স্বাস্থ্য উপকারিতা ও ঝুঁকি ==
চকলেট মিল্কশেকে দুধের ক্যালসিয়াম, প্রোটিন এবং চকলেটের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান থাকে। শিশুদের হাড় গঠনে সহায়তা করে এবং এক ধরনের মন ভালো করা শক্তি জোগায়। তবে এতে উচ্চমাত্রায় চিনি ও চর্বি থাকে বলে ডায়াবেটিস রোগী কিংবা ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকা ব্যক্তিদের জন্য নিয়ন্ত্রিত পরিমাণে খাওয়া উচিত। আইসক্রিম এবং অতিরিক্ত সিরাপ যোগে এটি ক্যালোরি বাড়ায়, তাই মাঝে মধ্যে খাওয়াই ভালো।
== পরামর্শ ==
* চাইলে ভ্যানিলা আইসক্রিম ব্যবহার করে হালকা স্বাদে পরিবর্তন আনা যায়।
* ডার্ক চকলেট ব্যবহার করলে মিল্কশেকের স্বাদ আরও তীব্র হয়।
* মিল্কশেক ফ্রিজে রাখলে ফেনা কমে যেতে পারে, তাই তাৎক্ষণিক পরিবেশন করাই ভালো।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:মিষ্টান্ন পানীয়]]
[[Category:গ্রীষ্মকালীন পানীয়]]
[[Category:চকলেট জাতীয় পানীয়]]
d1883cazbiuaew923l4298w7y5u5qbh
84532
84531
2025-06-17T00:47:34Z
Mehedi Abedin
7113
84532
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = পানীয়
| পরিবেশন = ২ জন
| তৈরির সময় = ১৫ মিনিট
| কষ্টসাধ্য = 1
| খাদ্য শক্তি = উচ্চ
| টীকা = ঘন, মোলায়েম ও ঠান্ডা পানীয় যা দুধ, চকলেট ও আইসক্রিম দিয়ে তৈরি করা হয়। এটি শিশু ও বড়দের জন্য অত্যন্ত জনপ্রিয় এক মিষ্টি পানীয়।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''চকলেট মিল্কশেক'''</big></center>
চকলেট মিল্কশেক একটি সহজ, সুস্বাদু ও মনপ্রাণ জয় করে নেওয়া পানীয়, যা গ্রীষ্মকালে ঠান্ডা পানীয় হিসেবে বেশ জনপ্রিয়। এটি ঘরে বসেই কয়েকটি উপকরণ দিয়ে খুব সহজেই তৈরি করা যায়। বিশেষ করে গরমের দিনে এক গ্লাস ঠান্ডা চকলেট মিল্কশেক সারাদিনের ক্লান্তি দূর করে মনকে প্রশান্ত করে তোলে। শিশুদের জন্য এটি এক দুর্দান্ত বিকল্প, কারণ এতে দুধ ও চকলেট দুটোই একসাথে পাওয়া যায়, যা পুষ্টিগুণেও পরিপূর্ণ।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! উপকরণ !! পরিমাণ
|-
| ঠান্ডা দুধ || ২ কাপ
|-
| চকলেট সিরাপ বা গলানো চকলেট || ১/৩ কাপ
|-
| চকোলেট আইসক্রিম || ২ বড় স্কুপ
|-
| চিনি (প্রয়োজনে) || ১-২ চা চামচ
|-
| বরফ কুচি || ১/২ কাপ
|-
| সাজানোর জন্য চকো চিপস বা কুঁচি করা চকলেট || ইচ্ছেমতো
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# প্রথমে একটি ব্লেন্ডারে ঠান্ডা দুধ, চকলেট সিরাপ, চকোলেট আইসক্রিম ও বরফ কুচি দিন।
# প্রয়োজনে সামান্য চিনি যোগ করুন, তবে আইসক্রিম ও সিরাপে যথেষ্ট মিষ্টি থাকে, তাই চিনি বেশি প্রয়োজন নাও হতে পারে।
# ব্লেন্ডারটি ভালোমতো চালিয়ে উপকরণগুলো একত্রে মিশিয়ে নিন, যতক্ষণ না ঘন ও ফেনাযুক্ত মিল্কশেক তৈরি হয়।
# গ্লাসে ঢেলে উপর থেকে চকলেট সিরাপ ছিটিয়ে দিন।
# চাইলে চকো চিপস, কাটা বাদাম বা কুঁচি করা চকলেট ছড়িয়ে দিন শোভা ও স্বাদের জন্য।
== পরিবেশন ==
ঠান্ডা অবস্থায় পরিবেশন করুন। এটি বিকেলে হালকা নাস্তার সাথে বা শুধু একটি দামি পানীয় হিসেবেও উপভোগ করা যায়।
== পরামর্শ ==
* চাইলে ভ্যানিলা আইসক্রিম ব্যবহার করে হালকা স্বাদে পরিবর্তন আনা যায়।
* ডার্ক চকলেট ব্যবহার করলে মিল্কশেকের স্বাদ আরও তীব্র হয়।
* মিল্কশেক ফ্রিজে রাখলে ফেনা কমে যেতে পারে, তাই তাৎক্ষণিক পরিবেশন করাই ভালো।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:মিষ্টান্ন পানীয়]]
[[Category:গ্রীষ্মকালীন পানীয়]]
[[Category:চকলেট জাতীয় পানীয়]]
i2hf8rhxqhu678gdetmqsxk6zbm3e95
84533
84532
2025-06-17T00:47:51Z
Mehedi Abedin
7113
84533
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = পানীয়
| পরিবেশন = ২ জন
| তৈরির সময় = ১৫ মিনিট
| কষ্টসাধ্য = 1
| খাদ্য শক্তি = উচ্চ
| টীকা = ঘন, মোলায়েম ও ঠান্ডা পানীয় যা দুধ, চকলেট ও আইসক্রিম দিয়ে তৈরি করা হয়। এটি শিশু ও বড়দের জন্য অত্যন্ত জনপ্রিয় এক মিষ্টি পানীয়।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''চকলেট মিল্কশেক'''</big></center>
চকলেট মিল্কশেক একটি সহজ, সুস্বাদু ও মনপ্রাণ জয় করে নেওয়া পানীয়, যা গ্রীষ্মকালে ঠান্ডা পানীয় হিসেবে বেশ জনপ্রিয়। এটি ঘরে বসেই কয়েকটি উপকরণ দিয়ে খুব সহজেই তৈরি করা যায়। বিশেষ করে গরমের দিনে এক গ্লাস ঠান্ডা চকলেট মিল্কশেক সারাদিনের ক্লান্তি দূর করে মনকে প্রশান্ত করে তোলে। শিশুদের জন্য এটি এক দুর্দান্ত বিকল্প, কারণ এতে দুধ ও চকলেট দুটোই একসাথে পাওয়া যায়, যা পুষ্টিগুণেও পরিপূর্ণ।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! উপকরণ !! পরিমাণ
|-
| ঠান্ডা দুধ || ২ কাপ
|-
| চকলেট সিরাপ বা গলানো চকলেট || ১/৩ কাপ
|-
| চকোলেট আইসক্রিম || ২ বড় স্কুপ
|-
| চিনি (প্রয়োজনে) || ১-২ চা চামচ
|-
| বরফ কুচি || ১/২ কাপ
|-
| সাজানোর জন্য চকো চিপস বা কুঁচি করা চকলেট || ইচ্ছেমতো
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# প্রথমে একটি ব্লেন্ডারে ঠান্ডা দুধ, চকলেট সিরাপ, চকোলেট আইসক্রিম ও বরফ কুচি দিন।
# প্রয়োজনে সামান্য চিনি যোগ করুন, তবে আইসক্রিম ও সিরাপে যথেষ্ট মিষ্টি থাকে, তাই চিনি বেশি প্রয়োজন নাও হতে পারে।
# ব্লেন্ডারটি ভালোমতো চালিয়ে উপকরণগুলো একত্রে মিশিয়ে নিন, যতক্ষণ না ঘন ও ফেনাযুক্ত মিল্কশেক তৈরি হয়।
# গ্লাসে ঢেলে উপর থেকে চকলেট সিরাপ ছিটিয়ে দিন।
# চাইলে চকো চিপস, কাটা বাদাম বা কুঁচি করা চকলেট ছড়িয়ে দিন শোভা ও স্বাদের জন্য।
<span style=color:red;><center>'''ঠান্ডা অবস্থায় পরিবেশন করুন।'''</center></span>
== পরামর্শ ==
* চাইলে ভ্যানিলা আইসক্রিম ব্যবহার করে হালকা স্বাদে পরিবর্তন আনা যায়।
* ডার্ক চকলেট ব্যবহার করলে মিল্কশেকের স্বাদ আরও তীব্র হয়।
* মিল্কশেক ফ্রিজে রাখলে ফেনা কমে যেতে পারে, তাই তাৎক্ষণিক পরিবেশন করাই ভালো।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:মিষ্টান্ন পানীয়]]
[[Category:গ্রীষ্মকালীন পানীয়]]
[[Category:চকলেট জাতীয় পানীয়]]
5fdp8qozw7z7zgn86bcmzfbr4nugtji
রন্ধনপ্রণালী:চালকুমড়ার বড়া
104
24436
84529
84323
2025-06-17T00:46:28Z
Mehedi Abedin
7113
84529
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = জলখাবার
| পরিবেশন = ৪ জন
| তৈরির সময় = ৪৫ মিনিট
| কষ্টসাধ্য = 2
| খাদ্য শক্তি = মাঝারি
| টীকা = ঐতিহ্যবাহী ও সাশ্রয়ী বাংলা খাবার, যা সাধারণত চালকুমড়ো কুচি করে বেসনের মিশ্রণে ডুবিয়ে ভেজে তৈরি করা হয়। এটি একটি হালকা ও সুস্বাদু নাস্তা।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''চালকুমড়ার বড়া'''</big></center>
চালকুমড়ার বড়া গ্রামবাংলার প্রাচীন ও জনপ্রিয় একটি রান্না। চালকুমড়ো সাধারণত তরকারি বা স্যুপে ব্যবহৃত হলেও এর বড়া বিশেষত বর্ষাকালে বা হালকা ভাজাভুজির জন্য বেশ আদর্শ। এই বড়া সাধারণত খিচুড়ি, ভাত বা ডাল দিয়ে পরিবেশন করা হয়। চালকুমড়োতে থাকা পানিশূন্য উপাদান ও হালকা স্বাদ একে ভাজা খাবারের মধ্যে এক অনন্য স্বাদ এনে দেয়। এটি স্বাস্থ্যের জন্যও তুলনামূলকভাবে নিম্ন, কারণ এতে তেল শোষণের হার তুলনামূলকভাবে কম।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! উপাদান !! পরিমাণ
|-
| চালকুমড়ো (কুচি করে নেওয়া) || ২ কাপ
|-
| বেসন || ১ কাপ
|-
| পেঁয়াজ কুচি || ১/২ কাপ
|-
| কাঁচা মরিচ কুচি || ২টি
|-
| হলুদ গুঁড়া || ১/২ চা চামচ
|-
| লঙ্কা গুঁড়ো || ১/২ চা চামচ
|-
| ধনে গুঁড়ো || ১ চা চামচ
|-
| লবণ || স্বাদমতো
|-
| সরিষার তেল || ভাজার জন্য
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# চালকুমড়ো ছিলে কুচি করে নিন এবং হালকা করে চেপে বাড়তি পানি ঝরিয়ে ফেলুন।
# একটি পাত্রে চালকুমড়ো, বেসন, পেঁয়াজ কুচি, কাঁচা মরিচ, হলুদ, লঙ্কা গুঁড়ো, ধনে গুঁড়ো ও লবণ একসাথে মিশিয়ে নিন।
# সব উপাদান মিশিয়ে একটি আঠালো মিশ্রণ তৈরি করুন। প্রয়োজনে সামান্য পানি যোগ করতে পারেন, তবে খেয়াল রাখবেন মিশ্রণ যেন বেশি পাতলা না হয়।
# একটি কড়াইয়ে তেল গরম করে হাত বা চামচ দিয়ে ছোট বড়ার আকারে তেলে ছাড়ুন।
# মাঝারি আঁচে উভয় দিক থেকে ভালোভাবে ভেজে নিন যতক্ষণ না তা সোনালি রঙ ধারণ করে।
# ভাজা হলে কিচেন পেপারে তুলে অতিরিক্ত তেল ঝরিয়ে নিন।
== পরিবেশন ==
চালকুমড়ার বড়া গরম গরম পরিবেশন করুন ভাত, ডাল বা খিচুড়ির সঙ্গে। ইচ্ছেমতো টক বা চাটনি দিয়েও পরিবেশন করা যায়।
== পরামর্শ ==
* চালকুমড়ো বেশি পানিযুক্ত হলে ভালো করে ঝরিয়ে নিতে হবে, না হলে বড়া ভাজার সময় ভেঙে যেতে পারে।
* বেসনের সঙ্গে চাইলে সামান্য চালের গুঁড়ো মেশালে বড়া বেশি মচমচে হয়।
* ভাজার সময় আঁচ মাঝারি রাখলে বড়ার ভেতরটা ভালোভাবে সেদ্ধ হয় এবং বাইরের অংশটা মচমচে থাকে।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:ভাজাভুজি]]
[[Category:বাংলাদেশী খাবার]]
[[Category:সবজি জাতীয় পদ]]
f04af342pvd8y0t2y49di2u73xhmm94
84530
84529
2025-06-17T00:46:47Z
Mehedi Abedin
7113
84530
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = জলখাবার
| পরিবেশন = ৪ জন
| তৈরির সময় = ৪৫ মিনিট
| কষ্টসাধ্য = 2
| খাদ্য শক্তি = মাঝারি
| টীকা = ঐতিহ্যবাহী ও সাশ্রয়ী বাংলা খাবার, যা সাধারণত চালকুমড়ো কুচি করে বেসনের মিশ্রণে ডুবিয়ে ভেজে তৈরি করা হয়। এটি একটি হালকা ও সুস্বাদু নাস্তা।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''চালকুমড়ার বড়া'''</big></center>
চালকুমড়ার বড়া গ্রামবাংলার প্রাচীন ও জনপ্রিয় একটি রান্না। চালকুমড়ো সাধারণত তরকারি বা স্যুপে ব্যবহৃত হলেও এর বড়া বিশেষত বর্ষাকালে বা হালকা ভাজাভুজির জন্য বেশ আদর্শ। এই বড়া সাধারণত খিচুড়ি, ভাত বা ডাল দিয়ে পরিবেশন করা হয়। চালকুমড়োতে থাকা পানিশূন্য উপাদান ও হালকা স্বাদ একে ভাজা খাবারের মধ্যে এক অনন্য স্বাদ এনে দেয়। এটি স্বাস্থ্যের জন্যও তুলনামূলকভাবে নিম্ন, কারণ এতে তেল শোষণের হার তুলনামূলকভাবে কম।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! উপাদান !! পরিমাণ
|-
| চালকুমড়ো (কুচি করে নেওয়া) || ২ কাপ
|-
| বেসন || ১ কাপ
|-
| পেঁয়াজ কুচি || ১/২ কাপ
|-
| কাঁচা মরিচ কুচি || ২টি
|-
| হলুদ গুঁড়া || ১/২ চা চামচ
|-
| লঙ্কা গুঁড়ো || ১/২ চা চামচ
|-
| ধনে গুঁড়ো || ১ চা চামচ
|-
| লবণ || স্বাদমতো
|-
| সরিষার তেল || ভাজার জন্য
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# চালকুমড়ো ছিলে কুচি করে নিন এবং হালকা করে চেপে বাড়তি পানি ঝরিয়ে ফেলুন।
# একটি পাত্রে চালকুমড়ো, বেসন, পেঁয়াজ কুচি, কাঁচা মরিচ, হলুদ, লঙ্কা গুঁড়ো, ধনে গুঁড়ো ও লবণ একসাথে মিশিয়ে নিন।
# সব উপাদান মিশিয়ে একটি আঠালো মিশ্রণ তৈরি করুন। প্রয়োজনে সামান্য পানি যোগ করতে পারেন, তবে খেয়াল রাখবেন মিশ্রণ যেন বেশি পাতলা না হয়।
# একটি কড়াইয়ে তেল গরম করে হাত বা চামচ দিয়ে ছোট বড়ার আকারে তেলে ছাড়ুন।
# মাঝারি আঁচে উভয় দিক থেকে ভালোভাবে ভেজে নিন যতক্ষণ না তা সোনালি রঙ ধারণ করে।
# ভাজা হলে কিচেন পেপারে তুলে অতিরিক্ত তেল ঝরিয়ে নিন।
<span style=color:red;><center>'''গরম গরম পরিবেশন করুন ভাত, ডাল বা খিচুড়ির সঙ্গে।'''</center></span>
== পরামর্শ ==
* চালকুমড়ো বেশি পানিযুক্ত হলে ভালো করে ঝরিয়ে নিতে হবে, না হলে বড়া ভাজার সময় ভেঙে যেতে পারে।
* বেসনের সঙ্গে চাইলে সামান্য চালের গুঁড়ো মেশালে বড়া বেশি মচমচে হয়।
* ভাজার সময় আঁচ মাঝারি রাখলে বড়ার ভেতরটা ভালোভাবে সেদ্ধ হয় এবং বাইরের অংশটা মচমচে থাকে।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:ভাজাভুজি]]
[[Category:বাংলাদেশী খাবার]]
[[Category:সবজি জাতীয় পদ]]
o9vgdu86nclg6y4tynsgj6oiiq20yj8
রন্ধনপ্রণালী:পটলের চপ
104
24438
84526
84327
2025-06-17T00:45:29Z
Mehedi Abedin
7113
84526
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = ভাজাভুজি
| পরিবেশন = ৪ জন
| তৈরির সময় = ৫০ মিনিট
| কষ্টসাধ্য = 3
| খাদ্য শক্তি = মাঝারি
| টীকা = অনন্য সবজি নির্ভর ভাজাভুজি খাবার, যা বাইরের দিক থেকে মচমচে ও ভেতর থেকে মসলাদার। এটি নিরামিষ এবং চা-নাস্তার সঙ্গে দারুণভাবে উপযোগী।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''পটলের চপ'''</big></center>
পটলের চপ বাংলার গৃহের একটি চিরাচরিত এবং নব্যরূপে উদ্ভাবিত ভাজা খাবার। পটল সাধারণত তরকারিতে ব্যবহৃত হলেও, এই পদে তা ভিন্ন আঙ্গিকে পরিবেশন করা হয়। পটল চিরে তার ভেতর পুর ভরে তারপর তা ডুবো তেলে ভেজে নেওয়া হয়। পুর হিসেবে ডাল, আলু, বেসন বা নারকেল ব্যবহার করা যায়। এই পদটি অতিথি আপ্যায়নে কিংবা বিকালের চায়ের সাথেও পরিবেশনযোগ্য।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! উপাদান !! পরিমাণ
|-
| মাঝারি সাইজের পটল || ৮–১০টি
|-
| সেদ্ধ আলু || ১ কাপ
|-
| পেঁয়াজ কুচি || ১/২ কাপ
|-
| কাঁচা মরিচ কুচি || ২টি
|-
| আদা-রসুন বাটা || ১ চা চামচ
|-
| লবণ || স্বাদমতো
|-
| হলুদ গুঁড়ো || ১/২ চা চামচ
|-
| ভাজা জিরা গুঁড়ো || ১ চা চামচ
|-
| লঙ্কা গুঁড়ো || ১/২ চা চামচ
|-
| বেসন || ১ কাপ
|-
| চালের গুঁড়ো || ২ চা চামচ
|-
| পানি || প্রয়োজনমতো
|-
| সরিষার তেল || ভাজার জন্য
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# পটল গুলো ছিলে মাঝখান থেকে লম্বালম্বি করে কেটে নিন এবং ভিতরের বীজ চামচ দিয়ে সরিয়ে নিন।
# একটি পাত্রে সেদ্ধ আলু, পেঁয়াজ কুচি, কাঁচা মরিচ, আদা-রসুন বাটা, জিরা গুঁড়ো, লবণ, হলুদ ও লঙ্কা গুঁড়ো দিয়ে ভালোভাবে মাখিয়ে পুর তৈরি করুন।
# প্রতিটি পটলের ভেতরে এই পুর ভরে দিন এবং হাত দিয়ে সামান্য চেপে বন্ধ করুন যাতে পুর বেরিয়ে না যায়।
# এবার বেসনের সঙ্গে চালের গুঁড়ো, সামান্য লবণ ও পানি মিশিয়ে একটি ঘন মিশ্রণ তৈরি করুন।
# তেলে ভাজার জন্য একটি কড়াই গরম করুন। প্রতিটি পটল পুরসহ বেসনের মিশ্রণে ডুবিয়ে তেলে ছেড়ে দিন।
# মাঝারি আঁচে উভয় দিক থেকে ভালোভাবে ভেজে নিন যতক্ষণ না তা সোনালি ও খাস্তা হয়ে যায়।
# ভাজা হয়ে গেলে কিচেন পেপারে (বা টিস্যু) তুলে রাখুন যাতে অতিরিক্ত তেল ঝরে পড়ে।
== পরিবেশন ==
পটলের চপ গরম গরম পরিবেশন করুন টমেটো বা ধনিয়া চাটনি কিংবা ঝাল তেঁতুলের সঙ্গে। বিকেলের জলখাবার বা অতিথি আপ্যায়নের জন্য এটি দারুণ এক পদ।
== স্বাস্থ্য উপকারিতা ও সতর্কতা ==
পটল একটি আঁশযুক্ত ও সহজপাচ্য সবজি, যা হজমে সাহায্য করে ও গ্যাসের সমস্যা দূর করতে সহায়ক। তবে এটি ডুবো তেলে ভাজা হওয়ায় যারা কোলেস্টেরল বা উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভোগেন, তাদের নিয়মিত না খাওয়াই উত্তম। মাঝেমধ্যে স্বাদের পরিবর্তনের জন্য বা নিরামিষ দিনে বিশেষ কিছু খাওয়ার ইচ্ছা হলে এই পদটি খুবই উপযোগী।
== পরামর্শ ==
* চাইলে পুরে সামান্য চিনি বা কিশমিশ মিশিয়ে মিষ্টি স্বাদ আনা যায়।
* পুরের মধ্যে সেদ্ধ মটর ডাল বা নারকেল দিয়ে ভিন্ন স্বাদ তৈরি করা যায়।
* পটল যদি খুব বড় হয়, তাহলে অর্ধেক কেটে চপ তৈরি করুন।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:ভাজাভুজি]]
[[Category:বাংলাদেশী খাবার]]
[[Category:সবজি জাতীয় পদ]]
8yal4buizuoowdps7pdd6z6zot14dng
84527
84526
2025-06-17T00:45:39Z
Mehedi Abedin
7113
84527
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = ভাজাভুজি
| পরিবেশন = ৪ জন
| তৈরির সময় = ৫০ মিনিট
| কষ্টসাধ্য = 3
| খাদ্য শক্তি = মাঝারি
| টীকা = অনন্য সবজি নির্ভর ভাজাভুজি খাবার, যা বাইরের দিক থেকে মচমচে ও ভেতর থেকে মসলাদার। এটি নিরামিষ এবং চা-নাস্তার সঙ্গে দারুণভাবে উপযোগী।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''পটলের চপ'''</big></center>
পটলের চপ বাংলার গৃহের একটি চিরাচরিত এবং নব্যরূপে উদ্ভাবিত ভাজা খাবার। পটল সাধারণত তরকারিতে ব্যবহৃত হলেও, এই পদে তা ভিন্ন আঙ্গিকে পরিবেশন করা হয়। পটল চিরে তার ভেতর পুর ভরে তারপর তা ডুবো তেলে ভেজে নেওয়া হয়। পুর হিসেবে ডাল, আলু, বেসন বা নারকেল ব্যবহার করা যায়। এই পদটি অতিথি আপ্যায়নে কিংবা বিকালের চায়ের সাথেও পরিবেশনযোগ্য।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! উপাদান !! পরিমাণ
|-
| মাঝারি সাইজের পটল || ৮–১০টি
|-
| সেদ্ধ আলু || ১ কাপ
|-
| পেঁয়াজ কুচি || ১/২ কাপ
|-
| কাঁচা মরিচ কুচি || ২টি
|-
| আদা-রসুন বাটা || ১ চা চামচ
|-
| লবণ || স্বাদমতো
|-
| হলুদ গুঁড়ো || ১/২ চা চামচ
|-
| ভাজা জিরা গুঁড়ো || ১ চা চামচ
|-
| লঙ্কা গুঁড়ো || ১/২ চা চামচ
|-
| বেসন || ১ কাপ
|-
| চালের গুঁড়ো || ২ চা চামচ
|-
| পানি || প্রয়োজনমতো
|-
| সরিষার তেল || ভাজার জন্য
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# পটল গুলো ছিলে মাঝখান থেকে লম্বালম্বি করে কেটে নিন এবং ভিতরের বীজ চামচ দিয়ে সরিয়ে নিন।
# একটি পাত্রে সেদ্ধ আলু, পেঁয়াজ কুচি, কাঁচা মরিচ, আদা-রসুন বাটা, জিরা গুঁড়ো, লবণ, হলুদ ও লঙ্কা গুঁড়ো দিয়ে ভালোভাবে মাখিয়ে পুর তৈরি করুন।
# প্রতিটি পটলের ভেতরে এই পুর ভরে দিন এবং হাত দিয়ে সামান্য চেপে বন্ধ করুন যাতে পুর বেরিয়ে না যায়।
# এবার বেসনের সঙ্গে চালের গুঁড়ো, সামান্য লবণ ও পানি মিশিয়ে একটি ঘন মিশ্রণ তৈরি করুন।
# তেলে ভাজার জন্য একটি কড়াই গরম করুন। প্রতিটি পটল পুরসহ বেসনের মিশ্রণে ডুবিয়ে তেলে ছেড়ে দিন।
# মাঝারি আঁচে উভয় দিক থেকে ভালোভাবে ভেজে নিন যতক্ষণ না তা সোনালি ও খাস্তা হয়ে যায়।
# ভাজা হয়ে গেলে কিচেন পেপারে (বা টিস্যু) তুলে রাখুন যাতে অতিরিক্ত তেল ঝরে পড়ে।
== পরিবেশন ==
পটলের চপ গরম গরম পরিবেশন করুন টমেটো বা ধনিয়া চাটনি কিংবা ঝাল তেঁতুলের সঙ্গে। বিকেলের জলখাবার বা অতিথি আপ্যায়নের জন্য এটি দারুণ এক পদ।
== পরামর্শ ==
* চাইলে পুরে সামান্য চিনি বা কিশমিশ মিশিয়ে মিষ্টি স্বাদ আনা যায়।
* পুরের মধ্যে সেদ্ধ মটর ডাল বা নারকেল দিয়ে ভিন্ন স্বাদ তৈরি করা যায়।
* পটল যদি খুব বড় হয়, তাহলে অর্ধেক কেটে চপ তৈরি করুন।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:ভাজাভুজি]]
[[Category:বাংলাদেশী খাবার]]
[[Category:সবজি জাতীয় পদ]]
t6luy1w8ufnfu5q5xa6arh8rlkfhddt
84528
84527
2025-06-17T00:45:59Z
Mehedi Abedin
7113
84528
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = ভাজাভুজি
| পরিবেশন = ৪ জন
| তৈরির সময় = ৫০ মিনিট
| কষ্টসাধ্য = 3
| খাদ্য শক্তি = মাঝারি
| টীকা = অনন্য সবজি নির্ভর ভাজাভুজি খাবার, যা বাইরের দিক থেকে মচমচে ও ভেতর থেকে মসলাদার। এটি নিরামিষ এবং চা-নাস্তার সঙ্গে দারুণভাবে উপযোগী।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''পটলের চপ'''</big></center>
পটলের চপ বাংলার গৃহের একটি চিরাচরিত এবং নব্যরূপে উদ্ভাবিত ভাজা খাবার। পটল সাধারণত তরকারিতে ব্যবহৃত হলেও, এই পদে তা ভিন্ন আঙ্গিকে পরিবেশন করা হয়। পটল চিরে তার ভেতর পুর ভরে তারপর তা ডুবো তেলে ভেজে নেওয়া হয়। পুর হিসেবে ডাল, আলু, বেসন বা নারকেল ব্যবহার করা যায়। এই পদটি অতিথি আপ্যায়নে কিংবা বিকালের চায়ের সাথেও পরিবেশনযোগ্য।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! উপাদান !! পরিমাণ
|-
| মাঝারি সাইজের পটল || ৮–১০টি
|-
| সেদ্ধ আলু || ১ কাপ
|-
| পেঁয়াজ কুচি || ১/২ কাপ
|-
| কাঁচা মরিচ কুচি || ২টি
|-
| আদা-রসুন বাটা || ১ চা চামচ
|-
| লবণ || স্বাদমতো
|-
| হলুদ গুঁড়ো || ১/২ চা চামচ
|-
| ভাজা জিরা গুঁড়ো || ১ চা চামচ
|-
| লঙ্কা গুঁড়ো || ১/২ চা চামচ
|-
| বেসন || ১ কাপ
|-
| চালের গুঁড়ো || ২ চা চামচ
|-
| পানি || প্রয়োজনমতো
|-
| সরিষার তেল || ভাজার জন্য
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# পটল গুলো ছিলে মাঝখান থেকে লম্বালম্বি করে কেটে নিন এবং ভিতরের বীজ চামচ দিয়ে সরিয়ে নিন।
# একটি পাত্রে সেদ্ধ আলু, পেঁয়াজ কুচি, কাঁচা মরিচ, আদা-রসুন বাটা, জিরা গুঁড়ো, লবণ, হলুদ ও লঙ্কা গুঁড়ো দিয়ে ভালোভাবে মাখিয়ে পুর তৈরি করুন।
# প্রতিটি পটলের ভেতরে এই পুর ভরে দিন এবং হাত দিয়ে সামান্য চেপে বন্ধ করুন যাতে পুর বেরিয়ে না যায়।
# এবার বেসনের সঙ্গে চালের গুঁড়ো, সামান্য লবণ ও পানি মিশিয়ে একটি ঘন মিশ্রণ তৈরি করুন।
# তেলে ভাজার জন্য একটি কড়াই গরম করুন। প্রতিটি পটল পুরসহ বেসনের মিশ্রণে ডুবিয়ে তেলে ছেড়ে দিন।
# মাঝারি আঁচে উভয় দিক থেকে ভালোভাবে ভেজে নিন যতক্ষণ না তা সোনালি ও খাস্তা হয়ে যায়।
# ভাজা হয়ে গেলে কিচেন পেপারে (বা টিস্যু) তুলে রাখুন যাতে অতিরিক্ত তেল ঝরে পড়ে।
<span style=color:red;><center>'''গরম গরম পরিবেশন করুন টমেটো বা ধনিয়া চাটনি কিংবা ঝাল তেঁতুলের সঙ্গে।'''</center></span>
== পরামর্শ ==
* চাইলে পুরে সামান্য চিনি বা কিশমিশ মিশিয়ে মিষ্টি স্বাদ আনা যায়।
* পুরের মধ্যে সেদ্ধ মটর ডাল বা নারকেল দিয়ে ভিন্ন স্বাদ তৈরি করা যায়।
* পটল যদি খুব বড় হয়, তাহলে অর্ধেক কেটে চপ তৈরি করুন।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:ভাজাভুজি]]
[[Category:বাংলাদেশী খাবার]]
[[Category:সবজি জাতীয় পদ]]
r3gnmhgw8m1fqyy3vf19bxftk7h5tuf
রন্ধনপ্রণালী:ছানার দম পনির
104
24528
84524
84331
2025-06-17T00:44:32Z
Mehedi Abedin
7113
84524
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = প্রধান খাবার
| পরিবেশন = ৪ জন
| তৈরির সময় = ১ ঘণ্টা
| কষ্টসাধ্য = 3
| খাদ্য শক্তি = মাঝারি
| টীকা = ছানা ও মশলার মিশ্রণে তৈরি ঘন ঝোলের একটি নিরামিষ পদ, যা বিশেষত উৎসবে পরিবেশিত হয়।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''ছানার দম পনির'''</big></center>
ছানার দম পনির একটি পরিপূর্ণ নিরামিষ পদ যা বাংলার রান্নায় সুপ্রচলিত। ছানা ও বিভিন্ন গরম মসলা দিয়ে ধীরে ধীরে রান্না করা হয় বলে এর স্বাদ গভীর এবং ঝোল হয় ঘন। এটি ভাত বা লুচির সাথে খুবই ভালো মানিয়ে যায়। খাঁটি দেশি ঘি ও ভালো মানের ছানা থাকলে স্বাদ আরও বাড়ে। এই রান্নাটি রোজকার খাবারেও পরিবেশন করা যায়, আবার বিশেষ উপলক্ষেও একে করা হয় মুখরোচক ও উৎসবমুখর করে।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! নাম !! পরিমাণ
|-
| ছানা || ২৫০ গ্রাম (নিজে বানানো বা বাজার থেকে আনা)
|-
| টক দই || ১/২ কাপ
|-
| পেঁয়াজ বাটা || ১ কাপ
|-
| আদা বাটা || ১ টেবিল চামচ
|-
| রসুন বাটা || ১ চা চামচ
|-
| কাঁচা লঙ্কা বাটা || ১ চা চামচ
|-
| শুকনো লঙ্কা গুঁড়া || ১/২ চা চামচ
|-
| হলুদ গুঁড়া || ১/২ চা চামচ
|-
| ধনে গুঁড়ো || ১ চা চামচ
|-
| জিরা গুঁড়ো || ১/২ চা চামচ
|-
| গরম মসলা গুঁড়ো || ১/২ চা চামচ
|-
| দারচিনি, এলাচ, লবঙ্গ || ২–৩টি করে
|-
| লবণ || স্বাদমতো
|-
| চিনি || ১/২ চা চামচ
|-
| দেশি ঘি / সরিষার তেল || ৩ টেবিল চামচ
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# প্রথমে ছানাকে হাত দিয়ে চটকে নিন ও ছোট গোল আকারে বল বানিয়ে নিন।
# একটি কড়াইয়ে ঘি গরম করে এতে দারুচিনি, এলাচ ও লবঙ্গ ফোড়ন দিন।
# এরপর পেঁয়াজ বাটা, আদা-রসুন বাটা ও কাঁচা লঙ্কা দিয়ে ভালভাবে ভাজুন যতক্ষণ না কাঁচা গন্ধ চলে যায়।
# এবার টক দই, শুকনো লঙ্কা গুঁড়ো, হলুদ, ধনে ও জিরা গুঁড়ো দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে নিন।
# কষানো হলে প্রয়োজনমতো জল দিন ও চিনি ও লবণ দিন।
# ঝোল ফুটে উঠলে ছানার বল গুলো দিয়ে দিন এবং ঢেকে দিন ১৫–২০ মিনিট কম আঁচে দমে রান্না করুন।
# শেষে গরম মসলা গুঁড়ো ছড়িয়ে নামিয়ে নিন।
== পরিবেশন ==
ছানার দম পনির গরম গরম ভাত, লুচি কিংবা পরোটা দিয়ে পরিবেশন করুন। চাইলে রুচি অনুযায়ী কাঁচা লঙ্কা কুচিও ছড়ানো যেতে পারে।
== পরামর্শ ==
* ছানা যেন বেশি নরম না হয়, তাহলে বল গুলো ঝোলের মধ্যে গলে যেতে পারে।
* টক দই আগে থেকে ফেটিয়ে নিলে ঝোল কষাতে সুবিধা হবে।
* যদি বেশি ঘন ঝোল চান, তাহলে জল কম ব্যবহার করুন।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:নিরামিষ খাবার]]
[[Category:বাংলাদেশি খাবার]]
[[Category:ঐতিহ্যবাহী রান্না]]
[[Category:ছানার পদ]]
[[Category:দম রান্না]]
b17um8ylq4lrnhclsbm7i0tt89du87i
84525
84524
2025-06-17T00:44:54Z
Mehedi Abedin
7113
84525
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = প্রধান খাবার
| পরিবেশন = ৪ জন
| তৈরির সময় = ১ ঘণ্টা
| কষ্টসাধ্য = 3
| খাদ্য শক্তি = মাঝারি
| টীকা = ছানা ও মশলার মিশ্রণে তৈরি ঘন ঝোলের একটি নিরামিষ পদ, যা বিশেষত উৎসবে পরিবেশিত হয়।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''ছানার দম পনির'''</big></center>
ছানার দম পনির একটি পরিপূর্ণ নিরামিষ পদ যা বাংলার রান্নায় সুপ্রচলিত। ছানা ও বিভিন্ন গরম মসলা দিয়ে ধীরে ধীরে রান্না করা হয় বলে এর স্বাদ গভীর এবং ঝোল হয় ঘন। এটি ভাত বা লুচির সাথে খুবই ভালো মানিয়ে যায়। খাঁটি দেশি ঘি ও ভালো মানের ছানা থাকলে স্বাদ আরও বাড়ে। এই রান্নাটি রোজকার খাবারেও পরিবেশন করা যায়, আবার বিশেষ উপলক্ষেও একে করা হয় মুখরোচক ও উৎসবমুখর করে।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! নাম !! পরিমাণ
|-
| ছানা || ২৫০ গ্রাম (নিজে বানানো বা বাজার থেকে আনা)
|-
| টক দই || ১/২ কাপ
|-
| পেঁয়াজ বাটা || ১ কাপ
|-
| আদা বাটা || ১ টেবিল চামচ
|-
| রসুন বাটা || ১ চা চামচ
|-
| কাঁচা লঙ্কা বাটা || ১ চা চামচ
|-
| শুকনো লঙ্কা গুঁড়া || ১/২ চা চামচ
|-
| হলুদ গুঁড়া || ১/২ চা চামচ
|-
| ধনে গুঁড়ো || ১ চা চামচ
|-
| জিরা গুঁড়ো || ১/২ চা চামচ
|-
| গরম মসলা গুঁড়ো || ১/২ চা চামচ
|-
| দারচিনি, এলাচ, লবঙ্গ || ২–৩টি করে
|-
| লবণ || স্বাদমতো
|-
| চিনি || ১/২ চা চামচ
|-
| দেশি ঘি / সরিষার তেল || ৩ টেবিল চামচ
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# প্রথমে ছানাকে হাত দিয়ে চটকে নিন ও ছোট গোল আকারে বল বানিয়ে নিন।
# একটি কড়াইয়ে ঘি গরম করে এতে দারুচিনি, এলাচ ও লবঙ্গ ফোড়ন দিন।
# এরপর পেঁয়াজ বাটা, আদা-রসুন বাটা ও কাঁচা লঙ্কা দিয়ে ভালভাবে ভাজুন যতক্ষণ না কাঁচা গন্ধ চলে যায়।
# এবার টক দই, শুকনো লঙ্কা গুঁড়ো, হলুদ, ধনে ও জিরা গুঁড়ো দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে নিন।
# কষানো হলে প্রয়োজনমতো জল দিন ও চিনি ও লবণ দিন।
# ঝোল ফুটে উঠলে ছানার বল গুলো দিয়ে দিন এবং ঢেকে দিন ১৫–২০ মিনিট কম আঁচে দমে রান্না করুন।
# শেষে গরম মসলা গুঁড়ো ছড়িয়ে নামিয়ে নিন।
<span style=color:red;><center>'''গরম গরম ভাত, লুচি কিংবা পরোটা দিয়ে পরিবেশন করুন।'''</center></span>
== পরামর্শ ==
* ছানা যেন বেশি নরম না হয়, তাহলে বল গুলো ঝোলের মধ্যে গলে যেতে পারে।
* টক দই আগে থেকে ফেটিয়ে নিলে ঝোল কষাতে সুবিধা হবে।
* যদি বেশি ঘন ঝোল চান, তাহলে জল কম ব্যবহার করুন।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:নিরামিষ খাবার]]
[[Category:বাংলাদেশি খাবার]]
[[Category:ঐতিহ্যবাহী রান্না]]
[[Category:ছানার পদ]]
[[Category:দম রান্না]]
t5kib99ypmpx4zet1l028c356o39wtv
রন্ধনপ্রণালী:বিফ চাপ
104
24530
84522
84334
2025-06-17T00:43:50Z
Mehedi Abedin
7113
84522
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = প্রধান খাবার
| পরিবেশন = ৪ জন
| তৈরির সময় = ২ ঘণ্টা
| চিত্র = Beef_Chaap.jpg
| কষ্টসাধ্য = ৪
| খাদ্য শক্তি = উচ্চ
| টীকা = গরুর মাংসের চপ ঘন ও মসলাদার ঝোলে ধীরে ধীরে রান্না করে তৈরি এক মুখরোচক পদ
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''বিফ চাপ'''</big></center>
বিফ চাপ একটি ঘন ঝোলের কষা গরুর মাংসের পদ, যা মূলত লম্বা ও পাতলা আকারে কাটা গরুর মাংস দিয়ে তৈরি করা হয়। এতে মশলার গভীরতা ও ধীরে ধীরে রান্নার ধরণ একে এক অনন্য স্বাদ দেয়। সাধারণত এটি পরোটা, নান বা বুটের ডালের সঙ্গে খাওয়া হয়। বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের রেস্তোরাঁয় এটি একটি জনপ্রিয় পদ।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! উপাদান !! পরিমাণ
|-
| গরুর চাপ (লম্বা ও পাতলা টুকরো) || ৬–৮টি
|-
| টক দই || ১ কাপ
|-
| পেঁয়াজ বাটা || ১ কাপ
|-
| আদা বাটা || ১ টেবিল চামচ
|-
| রসুন বাটা || ২ টেবিল চামচ
|-
| কাঁচা লঙ্কা বাটা || ১ চা চামচ
|-
| শুকনো লঙ্কা গুঁড়ো || ১ চা চামচ
|-
| ধনে গুঁড়ো || ১ চা চামচ
|-
| জিরা গুঁড়ো || ১/২ চা চামচ
|-
| গরম মসলা গুঁড়ো || ১/২ চা চামচ
|-
| দারচিনি, এলাচ, লবঙ্গ || ২–৩টি করে
|-
| গোলমরিচ গুঁড়ো || ১/২ চা চামচ
|-
| কেওড়া জল || ১ চা চামচ
|-
| জায়ফল-জয়ত্রী গুঁড়ো || ১/৪ চা চামচ
|-
| সরিষার তেল || ১/২ কাপ
|-
| চিনি || ১ চা চামচ (ঐচ্ছিক)
|-
| লবণ || স্বাদমতো
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# প্রথমে গরুর চাপ ভালোভাবে ধুয়ে নিন এবং পানি ঝরিয়ে আলাদা করে রাখুন।
# একটি বড় পাত্রে টক দই, পেঁয়াজ বাটা, আদা, রসুন, কাঁচা লঙ্কা, ধনে, জিরা, শুকনো লঙ্কা, গরম মসলা, গোলমরিচ, জায়ফল-জয়ত্রী গুঁড়ো, লবণ ও চিনি একসঙ্গে মিশিয়ে একটি মসলা তৈরি করুন।
# এই মসলার মিশ্রণে গরুর মাংসগুলো ভালোভাবে মাখিয়ে নিন। ঢেকে রেখে দিন কমপক্ষে ২ ঘণ্টা, তবে রাতভর রাখলে আরও ভালো মেরিনেশন হবে।
# একটি মোটা তলাওয়ালা হাঁড়িতে সরিষার তেল গরম করে দারচিনি, এলাচ ও লবঙ্গ দিন। এরপর মেরিনেট করা মাংস মসলাসহ ঢেলে দিন।
# কম আঁচে ঢেকে রেখে ধীরে ধীরে রান্না করুন। মাঝে মাঝে নেড়ে দিন যেন নিচে লেগে না যায়।
# মাংস সেদ্ধ হয়ে এলে এবং তেল আলাদা হয়ে এলে কেওড়া জল ছিটিয়ে দিন। আরও ৫ মিনিট রান্না করে নামিয়ে ফেলুন।
== পরিবেশন ==
বিফ চাপ গরম গরম লাচ্ছা পরোটা, রুটি বা পোলাওয়ের সঙ্গে পরিবেশন করুন। পেঁয়াজ কুচি ও লেবু পাশে রাখলে স্বাদ আরও বেড়ে যায়।
== পরামর্শ ==
* চাপের টুকরো যেন বেশি মোটা না হয়, তাহলে মশলা ভালোভাবে ঢুকবে না।
* চাইলে ঝোল আরও কমিয়ে শুকনো কষা অবস্থায় পরিবেশন করা যায়।
* বেশি ঝাল খেতে চাইলে কাঁচা লঙ্কা ও শুকনো লঙ্কা বাড়ানো যেতে পারে।
[[Category:গরুর মাংস]]
[[Category:বাংলাদেশী খাবার]]
[[Category:ঐতিহ্যবাহী রান্না]]
[[Category:চাপের পদ]]
[[Category:উৎসবের খাবার]]
khkgtfmltssspel2htsy3ciwxuax545
84523
84522
2025-06-17T00:44:09Z
Mehedi Abedin
7113
84523
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = প্রধান খাবার
| পরিবেশন = ৪ জন
| তৈরির সময় = ২ ঘণ্টা
| চিত্র = Beef_Chaap.jpg
| কষ্টসাধ্য = ৪
| খাদ্য শক্তি = উচ্চ
| টীকা = গরুর মাংসের চপ ঘন ও মসলাদার ঝোলে ধীরে ধীরে রান্না করে তৈরি এক মুখরোচক পদ
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''বিফ চাপ'''</big></center>
বিফ চাপ একটি ঘন ঝোলের কষা গরুর মাংসের পদ, যা মূলত লম্বা ও পাতলা আকারে কাটা গরুর মাংস দিয়ে তৈরি করা হয়। এতে মশলার গভীরতা ও ধীরে ধীরে রান্নার ধরণ একে এক অনন্য স্বাদ দেয়। সাধারণত এটি পরোটা, নান বা বুটের ডালের সঙ্গে খাওয়া হয়। বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের রেস্তোরাঁয় এটি একটি জনপ্রিয় পদ।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! উপাদান !! পরিমাণ
|-
| গরুর চাপ (লম্বা ও পাতলা টুকরো) || ৬–৮টি
|-
| টক দই || ১ কাপ
|-
| পেঁয়াজ বাটা || ১ কাপ
|-
| আদা বাটা || ১ টেবিল চামচ
|-
| রসুন বাটা || ২ টেবিল চামচ
|-
| কাঁচা লঙ্কা বাটা || ১ চা চামচ
|-
| শুকনো লঙ্কা গুঁড়ো || ১ চা চামচ
|-
| ধনে গুঁড়ো || ১ চা চামচ
|-
| জিরা গুঁড়ো || ১/২ চা চামচ
|-
| গরম মসলা গুঁড়ো || ১/২ চা চামচ
|-
| দারচিনি, এলাচ, লবঙ্গ || ২–৩টি করে
|-
| গোলমরিচ গুঁড়ো || ১/২ চা চামচ
|-
| কেওড়া জল || ১ চা চামচ
|-
| জায়ফল-জয়ত্রী গুঁড়ো || ১/৪ চা চামচ
|-
| সরিষার তেল || ১/২ কাপ
|-
| চিনি || ১ চা চামচ (ঐচ্ছিক)
|-
| লবণ || স্বাদমতো
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# প্রথমে গরুর চাপ ভালোভাবে ধুয়ে নিন এবং পানি ঝরিয়ে আলাদা করে রাখুন।
# একটি বড় পাত্রে টক দই, পেঁয়াজ বাটা, আদা, রসুন, কাঁচা লঙ্কা, ধনে, জিরা, শুকনো লঙ্কা, গরম মসলা, গোলমরিচ, জায়ফল-জয়ত্রী গুঁড়ো, লবণ ও চিনি একসঙ্গে মিশিয়ে একটি মসলা তৈরি করুন।
# এই মসলার মিশ্রণে গরুর মাংসগুলো ভালোভাবে মাখিয়ে নিন। ঢেকে রেখে দিন কমপক্ষে ২ ঘণ্টা, তবে রাতভর রাখলে আরও ভালো মেরিনেশন হবে।
# একটি মোটা তলাওয়ালা হাঁড়িতে সরিষার তেল গরম করে দারচিনি, এলাচ ও লবঙ্গ দিন। এরপর মেরিনেট করা মাংস মসলাসহ ঢেলে দিন।
# কম আঁচে ঢেকে রেখে ধীরে ধীরে রান্না করুন। মাঝে মাঝে নেড়ে দিন যেন নিচে লেগে না যায়।
# মাংস সেদ্ধ হয়ে এলে এবং তেল আলাদা হয়ে এলে কেওড়া জল ছিটিয়ে দিন। আরও ৫ মিনিট রান্না করে নামিয়ে ফেলুন।
<span style=color:red;><center>'''গরম গরম লাচ্ছা পরোটা, রুটি বা পোলাওয়ের সঙ্গে পরিবেশন করুন।'''</center></span>
== পরামর্শ ==
* চাপের টুকরো যেন বেশি মোটা না হয়, তাহলে মশলা ভালোভাবে ঢুকবে না।
* চাইলে ঝোল আরও কমিয়ে শুকনো কষা অবস্থায় পরিবেশন করা যায়।
* বেশি ঝাল খেতে চাইলে কাঁচা লঙ্কা ও শুকনো লঙ্কা বাড়ানো যেতে পারে।
[[Category:গরুর মাংস]]
[[Category:বাংলাদেশী খাবার]]
[[Category:ঐতিহ্যবাহী রান্না]]
[[Category:চাপের পদ]]
[[Category:উৎসবের খাবার]]
nnjhosm21p0vx65fhziazqqkd4h745m
রন্ধনপ্রণালী:তান্দুরি রুটি
104
24533
84520
84337
2025-06-17T00:42:32Z
Mehedi Abedin
7113
84520
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = প্রধান খাবার
| পরিবেশন = ৫–৬ জন
| তৈরির সময় = ২ ঘণ্টা (উঠানোর সময়সহ)
| কষ্টসাধ্য = 2
| খাদ্য শক্তি = মাঝারি
| টীকা = মাটি বা ধাতব তান্দুর চুলায় প্রস্তুতকৃত মোলায়েম, কিছুটা মোটা ধরনের রুটি যা ঘ্রাণে ও স্বাদে অতুলনীয়।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''তান্দুরি রুটি'''</big></center>
তান্দুরি রুটি একটি বিখ্যাত ভারতীয় উপমহাদেশীয় রুটি, যা সাধারণত গরম তান্দুরে সেঁকে বানানো হয়। এটি গন্ধে, স্বাদে ও টেক্সচারে অন্যান্য রুটির তুলনায় অনেক আলাদা। বাইরের অংশে হালকা পোড়া গন্ধ আর ভিতরে তুলতুলে ভাব এই রুটির বিশেষত্ব। এটি সাধারণত কোরমা, কাবাব, নাহারি বা ঘন মাংসের পদগুলোর সঙ্গে পরিবেশন করা হয়।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! উপাদান !! পরিমাণ
|-
| ময়দা || ৩ কাপ
|-
| টক দই || ১/২ কাপ
|-
| বেকিং সোডা || ১/২ চা চামচ
|-
| বেকিং পাউডার || ১ চা চামচ
|-
| চিনি || ১ চা চামচ
|-
| লবণ || ১ চা চামচ
|-
| সাদা তেল || ২ টেবিল চামচ
|-
| কুসুম গরম পানি || পরিমাণমতো (আটা মাখানোর জন্য)
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# প্রথমে একটি বড় পাত্রে ময়দা, বেকিং সোডা, বেকিং পাউডার, চিনি ও লবণ ভালোভাবে মিশিয়ে নিন।
# এরপর টক দই ও সাদা তেল দিয়ে ময়দার সঙ্গে মিশিয়ে অল্প অল্প কুসুম গরম পানি দিয়ে মেখে একটি নরম ও কোমল আটা তৈরি করুন।
# মাখা হয়ে গেলে আটা ঢেকে রাখুন এবং অন্তত ১.৫–২ ঘণ্টা রেখে দিন যাতে আটা উঠতে পারে।
# আটা উঠে এলে ছোট ছোট লেচি কেটে রুটির মতো বেলে নিন (বেশি পাতলা না করে)।
# যদি তান্দুর না থাকে, তাহলে ঘরের মাটির চুলা বা মোটা তলের লোহার তাওয়া ব্যবহার করা যায়।
# তাওয়া ভালোভাবে গরম করে রুটিগুলো দুই পাশে সেঁকে নিন যতক্ষণ না হালকা পোড়া দাগ ও ফোলাভাব আসে।
== পরিবেশন ==
তান্দুরি রুটি গরম গরম পরিবেশন করুন যে কোনো কোরমা, কাবাব, মশলাদার মাংস বা ডালের ঘন পদের সঙ্গে। চাইলে উপরে ঘি বা মাখন ছিটিয়ে পরিবেশন করা যায়।
== পরামর্শ ==
* আটা খুব বেশি শক্ত বা পাতলা হওয়া অনুচিত।
* ময়দা মাখানোর সময় টক দই ও তেল ব্যবহার করলে রুটি বেশি নরম হয়।
* চাইলে উপর দিয়ে কাটা ধনিয়া পাতা ছিটিয়ে রুটি বেলার সময় দিয়ে দিতে পারেন, এতে স্বাদ ও গন্ধ আরও বেড়ে যায়।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:প্রধান খাবার]]
[[Category:রুটি ও পরোটা]]
[[Category:ঐতিহ্যবাহী খাবার]]
mtfuhwfttezmj9oi13ltrk1oxij07yo
84521
84520
2025-06-17T00:43:09Z
Mehedi Abedin
7113
84521
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = প্রধান খাবার
| পরিবেশন = ৫–৬ জন
| তৈরির সময় = ২ ঘণ্টা (উঠানোর সময়সহ)
| কষ্টসাধ্য = 2
| খাদ্য শক্তি = মাঝারি
| টীকা = মাটি বা ধাতব তান্দুর চুলায় প্রস্তুতকৃত মোলায়েম, কিছুটা মোটা ধরনের রুটি যা ঘ্রাণে ও স্বাদে অতুলনীয়।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''তান্দুরি রুটি'''</big></center>
তান্দুরি রুটি একটি বিখ্যাত ভারতীয় উপমহাদেশীয় রুটি, যা সাধারণত গরম তান্দুরে সেঁকে বানানো হয়। এটি গন্ধে, স্বাদে ও টেক্সচারে অন্যান্য রুটির তুলনায় অনেক আলাদা। বাইরের অংশে হালকা পোড়া গন্ধ আর ভিতরে তুলতুলে ভাব এই রুটির বিশেষত্ব। এটি সাধারণত কোরমা, কাবাব, নাহারি বা ঘন মাংসের পদগুলোর সঙ্গে পরিবেশন করা হয়।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! উপাদান !! পরিমাণ
|-
| ময়দা || ৩ কাপ
|-
| টক দই || ১/২ কাপ
|-
| বেকিং সোডা || ১/২ চা চামচ
|-
| বেকিং পাউডার || ১ চা চামচ
|-
| চিনি || ১ চা চামচ
|-
| লবণ || ১ চা চামচ
|-
| সাদা তেল || ২ টেবিল চামচ
|-
| কুসুম গরম পানি || পরিমাণমতো (আটা মাখানোর জন্য)
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# প্রথমে একটি বড় পাত্রে ময়দা, বেকিং সোডা, বেকিং পাউডার, চিনি ও লবণ ভালোভাবে মিশিয়ে নিন।
# এরপর টক দই ও সাদা তেল দিয়ে ময়দার সঙ্গে মিশিয়ে অল্প অল্প কুসুম গরম পানি দিয়ে মেখে একটি নরম ও কোমল আটা তৈরি করুন।
# মাখা হয়ে গেলে আটা ঢেকে রাখুন এবং অন্তত ১.৫–২ ঘণ্টা রেখে দিন যাতে আটা উঠতে পারে।
# আটা উঠে এলে ছোট ছোট লেচি কেটে রুটির মতো বেলে নিন (বেশি পাতলা না করে)।
# যদি তান্দুর না থাকে, তাহলে ঘরের মাটির চুলা বা মোটা তলের লোহার তাওয়া ব্যবহার করা যায়।
# তাওয়া ভালোভাবে গরম করে রুটিগুলো দুই পাশে সেঁকে নিন যতক্ষণ না হালকা পোড়া দাগ ও ফোলাভাব আসে।
<span style=color:red;><center>'''যে কোনো কোরমা, কাবাব, মশলাদার মাংস বা ডালের ঘন পদের সঙ্গে গরম গরম পরিবেশন করুন।'''</center></span>
== পরামর্শ ==
* আটা খুব বেশি শক্ত বা পাতলা হওয়া অনুচিত।
* ময়দা মাখানোর সময় টক দই ও তেল ব্যবহার করলে রুটি বেশি নরম হয়।
* চাইলে উপর দিয়ে কাটা ধনিয়া পাতা ছিটিয়ে রুটি বেলার সময় দিয়ে দিতে পারেন, এতে স্বাদ ও গন্ধ আরও বেড়ে যায়।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:প্রধান খাবার]]
[[Category:রুটি ও পরোটা]]
[[Category:ঐতিহ্যবাহী খাবার]]
j420813hoz1jxct27tr49i8vnsjr924
রন্ধনপ্রণালী:মেজবানি মাংস
104
24535
84518
84340
2025-06-17T00:41:32Z
Mehedi Abedin
7113
84518
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = প্রধান খাবার
| পরিবেশন = ৬–৮ জন
| তৈরির সময় = ৩ ঘণ্টা
| কষ্টসাধ্য = 4
| খাদ্য শক্তি = উচ্চ
| টীকা = চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী ও বিখ্যাত খাবার, যা সামাজিক উৎসব, মৃত্যুর পর মিলাদে, কিংবা কোনো বড় জমায়েতে পরিবেশন করা হয়।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''মেজবানি মাংস'''</big></center>
মেজবানি মাংস চট্টগ্রামের সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি একটি বিশেষভাবে প্রস্তুতকৃত গরুর মাংসের পদ, যেখানে প্রচুর পরিমাণে মসলা, কাঁচা মরিচ ও শুকনা মরিচ ব্যবহার করে ঘন ও গাঢ় স্বাদের ঝাল জাতীয় তরকারি তৈরি করা হয়। এই রান্নায় প্রায়ই হাড়সহ গরুর মাংস ব্যবহার করা হয় যাতে স্বাদ আরও গভীর হয়। মেজবানি রান্নার বিশেষত্ব হলো মসলার ভারসাম্য এবং ধৈর্যের সঙ্গে দীর্ঘ সময় ধরে রান্না করা।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! উপাদান !! পরিমাণ
|-
| গরুর মাংস (হাড়সহ) || ২ কেজি
|-
| পেঁয়াজ কুচি || ৩ কাপ
|-
| রসুন বাটা || ২ টেবিল চামচ
|-
| আদা বাটা || ২ টেবিল চামচ
|-
| শুকনা মরিচ গুঁড়া || ৩ টেবিল চামচ
|-
| হলুদ গুঁড়া || ১/২ চা চামচ
|-
| ধনে গুঁড়া || ২ টেবিল চামচ
|-
| জিরা গুঁড়া || ১ চা চামচ
|-
| পাঁচফোড়ন || ১ চা চামচ
|-
| লবণ || স্বাদমতো
|-
| সরিষার তেল || ১ কাপ
|-
| পানি || প্রয়োজন অনুযায়ী
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# গরুর মাংস ভালো করে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন।
# একটি বড় হাঁড়িতে সরিষার তেল গরম করে তাতে পাঁচফোড়ন ফোড়ন দিন।
# এরপর পেঁয়াজ কুচি দিয়ে হালকা বাদামি করে ভাজুন। এতে আদা ও রসুন বাটা দিন এবং নাড়ুন যতক্ষণ না কাঁচা গন্ধ চলে যায়।
# এবার শুকনা মরিচ, ধনে, জিরা ও হলুদ গুঁড়া দিয়ে ভালোভাবে কষান।
# মসলা থেকে তেল ছাড়লে তাতে গরুর মাংস দিয়ে দিন এবং উচ্চ আঁচে নেড়ে ভালোভাবে কষাতে থাকুন।
# কষানো হয়ে গেলে অল্প অল্প করে গরম পানি দিন এবং ঢেকে দিন। কম আঁচে রান্না করতে থাকুন যতক্ষণ মাংস সেদ্ধ হয় এবং তরকারি ঘন ও মসলায় ভরপুর হয়।
# মাঝে মাঝে নাড়িয়ে দেখবেন যেন নিচে লেগে না যায়।
== পরিবেশন ==
মেজবানি মাংস সাধারণত সাদা ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করা হয়। চাইলে সাথে রাখতে পারেন ডাল, ঝাল বেগুন ভর্তা কিংবা শুঁটকি ভর্তা। এই খাবার সাধারণত দুপুরের ভোজে পরিবেশন করা হয় এবং বড় সমাজিক অনুষ্ঠান ছাড়া এটি বিরল।
== পরামর্শ ==
* মেজবানি মাংসের স্বাদ নির্ভর করে পেঁয়াজ ও শুকনা মরিচের সঠিক অনুপাতে ব্যবহারে। বেশি কাঁচা মসলা দিলে ঝাঁজ কমে যেতে পারে।
* সরিষার তেল ব্যবহার না করলে মূল স্বাদ বজায় থাকে না।
* ঘন তরকারির জন্য রান্নার একেবারে শেষ দিকে ঢেকে ধীরে ধীরে রান্না করা অত্যন্ত জরুরি।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:প্রধান খাবার]]
[[Category:বাংলাদেশী মাংসের পদ]]
[[Category:ঐতিহ্যবাহী খাবার]]
[[Category:চট্টগ্রামের খাবার]]
mhrpcv2sgozcdk9reqjr9wg2tl1s61p
84519
84518
2025-06-17T00:42:10Z
Mehedi Abedin
7113
84519
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = প্রধান খাবার
| পরিবেশন = ৬–৮ জন
| তৈরির সময় = ৩ ঘণ্টা
| কষ্টসাধ্য = 4
| খাদ্য শক্তি = উচ্চ
| টীকা = চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী ও বিখ্যাত খাবার, যা সামাজিক উৎসব, মৃত্যুর পর মিলাদে, কিংবা কোনো বড় জমায়েতে পরিবেশন করা হয়।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''মেজবানি মাংস'''</big></center>
মেজবানি মাংস চট্টগ্রামের সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি একটি বিশেষভাবে প্রস্তুতকৃত গরুর মাংসের পদ, যেখানে প্রচুর পরিমাণে মসলা, কাঁচা মরিচ ও শুকনা মরিচ ব্যবহার করে ঘন ও গাঢ় স্বাদের ঝাল জাতীয় তরকারি তৈরি করা হয়। এই রান্নায় প্রায়ই হাড়সহ গরুর মাংস ব্যবহার করা হয় যাতে স্বাদ আরও গভীর হয়। মেজবানি রান্নার বিশেষত্ব হলো মসলার ভারসাম্য এবং ধৈর্যের সঙ্গে দীর্ঘ সময় ধরে রান্না করা।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! উপাদান !! পরিমাণ
|-
| গরুর মাংস (হাড়সহ) || ২ কেজি
|-
| পেঁয়াজ কুচি || ৩ কাপ
|-
| রসুন বাটা || ২ টেবিল চামচ
|-
| আদা বাটা || ২ টেবিল চামচ
|-
| শুকনা মরিচ গুঁড়া || ৩ টেবিল চামচ
|-
| হলুদ গুঁড়া || ১/২ চা চামচ
|-
| ধনে গুঁড়া || ২ টেবিল চামচ
|-
| জিরা গুঁড়া || ১ চা চামচ
|-
| পাঁচফোড়ন || ১ চা চামচ
|-
| লবণ || স্বাদমতো
|-
| সরিষার তেল || ১ কাপ
|-
| পানি || প্রয়োজন অনুযায়ী
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# গরুর মাংস ভালো করে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন।
# একটি বড় হাঁড়িতে সরিষার তেল গরম করে তাতে পাঁচফোড়ন ফোড়ন দিন।
# এরপর পেঁয়াজ কুচি দিয়ে হালকা বাদামি করে ভাজুন। এতে আদা ও রসুন বাটা দিন এবং নাড়ুন যতক্ষণ না কাঁচা গন্ধ চলে যায়।
# এবার শুকনা মরিচ, ধনে, জিরা ও হলুদ গুঁড়া দিয়ে ভালোভাবে কষান।
# মসলা থেকে তেল ছাড়লে তাতে গরুর মাংস দিয়ে দিন এবং উচ্চ আঁচে নেড়ে ভালোভাবে কষাতে থাকুন।
# কষানো হয়ে গেলে অল্প অল্প করে গরম পানি দিন এবং ঢেকে দিন। কম আঁচে রান্না করতে থাকুন যতক্ষণ মাংস সেদ্ধ হয় এবং তরকারি ঘন ও মসলায় ভরপুর হয়।
# মাঝে মাঝে নাড়িয়ে দেখবেন যেন নিচে লেগে না যায়।
<span style=color:red;><center>'''সাদা ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন।'''</center></span>
== পরামর্শ ==
* মেজবানি মাংসের স্বাদ নির্ভর করে পেঁয়াজ ও শুকনা মরিচের সঠিক অনুপাতে ব্যবহারে। বেশি কাঁচা মসলা দিলে ঝাঁজ কমে যেতে পারে।
* সরিষার তেল ব্যবহার না করলে মূল স্বাদ বজায় থাকে না।
* ঘন তরকারির জন্য রান্নার একেবারে শেষ দিকে ঢেকে ধীরে ধীরে রান্না করা অত্যন্ত জরুরি।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:প্রধান খাবার]]
[[Category:বাংলাদেশী মাংসের পদ]]
[[Category:ঐতিহ্যবাহী খাবার]]
[[Category:চট্টগ্রামের খাবার]]
7k4bdelrxl3138nssd5v01noudevops
ইন্দ্রিয়তন্ত্র/দৃষ্টিতন্ত্র/দৃষ্টিতন্ত্রের আন্তঃপ্রজাতি তুলনা
0
24575
84644
79815
2025-06-17T07:25:29Z
SMontaha32
11242
/* দৈহিক প্রজাতি ভিত্তিক ভিজ্যুয়াল সিস্টেমের তুলনা */
84644
wikitext
text/x-wiki
==দৈহিক প্রজাতি ভিত্তিক ভিজ্যুয়াল সিস্টেমের তুলনা==
এই অধ্যায়ে আমরা সংক্ষেপে তিন ধরনের মৌলিক ফটোরিসেপ্টর কোষ সম্পর্কে আলোচনা করব। এরপর আমরা পশুদের ভিজ্যুয়াল সিস্টেমের ভিজ্যুয়াল ইকোলজি অন্বেষণ শুরু করব: কীভাবে এগুলো বিভিন্ন স্পেকট্রাম ও আলোতীব্রতার সাথে খাপ খায়। এটি সংবেদনশীলতা এবং রেজোলিউশনের মধ্যে একটি ট্রেডঅফের দিকে নিয়ে যায়, কারণ উভয়ই পশুর প্রাপ্য সম্পদের জন্য প্রতিযোগিতা করে। যদি আলাদা করে উল্লেখ না করা হয়, এই অধ্যায়ের তথ্যসমূহ প্রখ্যাত বই ''ভিজ্যুয়াল ইকোলজি'' থেকে নেওয়া। <ref name=ve2014> {{Citation | author= Thomas W. Cronin, Sönke Johnsen, N. Justin Marshall, Eric J. Warrant| title= Visual Ecology | year = 2014 | publisher=Princeton University Press |ref=ve2014}} </ref>
===ফটোরিসেপ্টরের মৌলিক শ্রেণিসমূহ===
প্রাণী রাজ্যে ফটোরিসেপ্টর কোষের বিশাল বৈচিত্র্য বিদ্যমান। পার্থক্য থাকলেও এরা সকলেই একই মূল নীতিতে কাজ করে: যেহেতু ভিজ্যুয়াল পিগমেন্ট — যেগুলো ফোটন সনাক্ত করার জন্য দায়ী — শুধুমাত্র কোষের ঝিল্লিতে অবস্থান করতে পারে, তাই সব ফটোরিসেপ্টর যথেষ্ট ফোটন ধারণের জন্য ঝিল্লির স্তর তৈরি করে।
ফটোরিসেপ্টর কোষের দুইটি মৌলিক শ্রেণি রয়েছে। কশেরুকী প্রাণীদের (স্তন্যপায়ী, মাছ, পাখি, সরীসৃপ ইত্যাদি) ভিজ্যুয়াল রিসেপ্টর সিলিয়ারি এপিথেলিয়াল কোষ থেকে উদ্ভূত, তাই এগুলোকে "সিলিয়ারি রিসেপ্টর" বলা হয়। এগুলো আরও রড এবং কোণ হিসাবে বিভক্ত, অধিকাংশ কশেরুকী প্রাণীর দুটোই থাকে। সিলিয়ারি রিসেপ্টররা তাদের ঝিল্লিকে বাহ্যিক অংশে স্তূপাকৃত করে (ছবি দেখুন)।
অর্থ্রোপোড (পোকা, ক্রাস্টেসিয়ান ইত্যাদি) ও মোলাস্ক (স্ক্যালপ, অক্টোপাস ইত্যাদি) অজস্র ছোট, সিলিন্ডারাকৃত মাইক্রোভিলি রয়েছে, যেগুলোতে ভিজ্যুয়াল পিগমেন্ট থাকে। এই সিলিন্ডারগুলো কোষদেহ থেকে বেরিয়ে দাঁতের ব্রাশের ব্রিস্টলসের মতো। এই রিসেপ্টর কোষগুলোকে রাবডোম বলা হয়। খুব কিছু প্রাণী যেমন স্ক্যালপ উভয় সিলিয়ারি ও রাবডোমেরিক ফটোরিসেপ্টর ব্যবহার করে।
{|style="background:transparent; color:black" border="0" height="230" align="center" valign="bottom" cellpadding=10px cellspacing=0px
|+style="background:transparent; color:black"|''''' রিসেপ্টর কোষসমূহ '''''
|-align="center"
|
| [[File:Rod Cell.svg|thumb|রড কোষ: নিচ থেকে আলো আসছে]]
|
| [[File:Cone cell eng.png|thumb|কোন কোষ: নিচ থেকে আলো আসছে]]
|
|-align="center" valign="top"
|}
===স্পেকট্রামের বিভিন্ন অংশে সংবেদনশীলতা===
সকল প্রাণীর মধ্যে দৃষ্টি শুরু হয় আলোকে ফটোকেমিক্যালভাবে সনাক্ত করার মাধ্যমে। ফটোপিগমেন্ট হলো এমন অণু যেগুলো একটি ফোটন ধরার সময় পরিবর্তিত হয় (এই প্রক্রিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত [[Sensory_Systems/Visual_System#Creation_of_the_initial_signals_-_Photosensor_Function|এখানে]] পাওয়া যাবে)। ভিজ্যুয়াল সিস্টেমে ব্যবহৃত ফটোপিগমেন্টগুলোকে ভিজ্যুয়াল পিগমেন্ট বলা হয়। বিভিন্ন ধরনের ভিজ্যুয়াল পিগমেন্ট রয়েছে এবং এদের বিভিন্ন শোষণ স্পেকট্রাম থাকে অর্থাৎ তারা আলোর বিভিন্ন রং সনাক্ত করতে পারে। রঙিন দর্শনসম্পন্ন প্রাণীদের একাধিক ভিজ্যুয়াল পিগমেন্ট প্রয়োজন বিভিন্ন স্পেকট্রাল সংবেদনশীলতার জন্য। তবে অধিকাংশ প্রাণীর এক ধরনের ভিজ্যুয়াল পিগমেন্টই অধিক মাত্রায় প্রকাশ পায়। এর একটি যুক্তিযুক্ত ব্যাখ্যা হলো সংবেদনশীলতা হাইপোথিসিস। এর একটি সম্ভাব্য বিবৃতি হতে পারে:
{{quote|
|text = "একটি নির্দিষ্ট প্রজাতির রড ভিজ্যুয়াল পিগমেন্ট প্রাকৃতিক পরিবেশে ফোটন গ্রহনের সর্বোচ্চ মাত্রা অর্জনের জন্য স্পেকট্রালভাবে স্থাপন করা হয়"
|sign= Cronin et al.
|source = Visual Ecology
}}
রডগুলো কম আলোতে দেখার জন্য দায়ী যেখানে উপলব্ধ আলো খুবই দুর্বল এবং উপলব্ধ আলোর প্রতি সংবেদনশীল থাকা জরুরি। এই হাইপোথিসিস গভীর সমুদ্রের প্রাণীদের ওপর গবেষণার সময় তৈরি হয়েছিল এবং সেখানে এটি ভালোমতো প্রযোজ্য। অন্য সকল আবাসস্থলের জন্য এটি কিছুটা সমস্যাযুক্ত।
====গভীর সমুদ্রে স্পেকট্রাল অভিযোজন====
[[File:Spectra at various daytimes.png|thumb|এই গ্রাফে দেখানো হয়েছে কিভাবে স্থলভিত্তিক আবাসস্থলে সময়ের সাথে স্পেকট্রাম পরিবর্তিত হতে পারে।]]
ডেন্টন এবং ওয়ারেনের পাশাপাশি ১৯৫৭ সালে মঞ্জের প্রাথমিক গবেষণায় দেখা গেছে গভীর সমুদ্রের প্রাণীদের ভিজ্যুয়াল পিগমেন্টের সর্বোচ্চ শোষণ ব্লু অংশে হয়। সাম্প্রতিক একটি গভীর সমুদ্র মাছের গবেষণায় রিপোর্ট করা হয়েছে সর্বোচ্চ শোষণ প্রায় ৪৮০ nm এর কাছাকাছি কেন্দ্রিত।<ref> {{Citation|author=Douglas et al. | year=2003 | title=Sensory Processing in Aquatic Environments | chapter=Spectral Sensitivity Tuning in the Deep-Sea }} </ref> এটি গভীর সমুদ্রের স্পেকট্রামের সাথে মিলে যায় যেখানে অনেক মিটার জল অন্য সকল তরঙ্গদৈর্ঘ্যকে ফিল্টার করে ফেলে। কেন গভীর সমুদ্রের চিংড়িগুলো প্রায় ৫০০ nm তরঙ্গদৈর্ঘ্যে সর্বোচ্চ শোষণ করে তা এখনও বোঝা যায়নি। <ref>{{Citation|author=Marshall et al. | year=2003 | title=Sensory Processing in Aquatic Environments | chapter=The design of color signals and color vision in fishes }} </ref>
মেরিন স্তন্যপায়ীরা স্থলভিত্তিক স্তন্যপায়ীদের তুলনায় অনেক বিস্তৃত তরঙ্গদৈর্ঘ্যের সর্বোচ্চ শোষণ দেখায়। যেখানে স্থলভিত্তিক স্তন্যপায়ীদের রড পিগমেন্ট প্রায় ৫০০ nm তরঙ্গদৈর্ঘ্যে সর্বোচ্চ শোষণ করে, সেখানে মেরিন স্তন্যপায়ীদের শোষণ ৪৮০ থেকে ৫০৫ nm এর মধ্যে পরিবর্তিত হয়। গভীরে খাদ্য সংগ্রহকারী প্রাণীদের ভিজ্যুয়াল পিগমেন্ট ব্লু রংয়ের দিকে সরানো থাকে (λ<sub>max</sub> ≤ ৪৯০ nm) এবং উপকূলীয় অঞ্চলে বসবাসকারী স্তন্যপায়ীদের λ<sub>max</sub> মান স্থলভিত্তিক প্রাণীদের কাছাকাছি থাকে।<ref>{{Citation|author=Fasick JI, Robinson PR. | year=2000 | title= Spectral-tuning mechanisms of marine mammal rhodopsins and correlations with foraging depth.}} </ref>
====বিভিন্ন আবাসস্থলের স্পেকট্রা====
{{multiple image
| header = পানির নিচের আবাসস্থলে রং
| direction = vertical
| width = 250
| footer = ১০ মিটার গভীরতার উপরে নেওয়া একটি প্রবাল প্রাচীরের ছবি। সংশোধিত ছবিটি দেখায় প্রবাল প্রাচীরটি ব্রড ডে-লাইটে কেমন দেখাতে পারে।
| image1 = Korallenriff ungefiltert.jpg
| alt1 = প্রবাল প্রাচীরের মূল ছবি (ঠান্ডা রং)
| caption1 = সংশোধনহীন ছবি, যেখানে রংয়ের তাপমাত্রা প্রায় ৬০০০ K
| image2 = Korallenriff.jpg
| alt2 = সংশোধিত প্রবাল প্রাচীরের ছবি (গরম রং)
| caption2 = সংশোধিত ছবি, যেখানে রংয়ের তাপমাত্রা প্রায় ৪২০০ K
}}
আবাসস্থলগুলো খুবই স্বতন্ত্র স্পেকট্রাম ধারণ করে। আলোর তীব্রতা ও স্পেকট্রাম গঠন পৃথিবীর ওপর প্রবেশের কোণের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হয়। বায়ুমণ্ডলের পাশাপাশি পানি ও গাছপালা প্রাকৃতিক ফিল্টার হিসেবে কাজ করে। জলের মধ্যে লাল রং দ্রুত ফিল্টার হয়ে যায় এবং নীল রং গভীরতর পৌঁছায়।<ref> {{citation | title= Underwater light field and spectral distribution of attenuation depth in inland and coastal waters| author= Tuuli Kauer, Helgi Arst, Lea Tuvikene | year=2010 | journal = Oceanologia}}</ref>
একই ধরনের প্রভাব দেখা যায় বনজঙ্গলের গাছপালায় যেখানে সবুজ উদ্ভিদ আলো ফিল্টার করে। পাতার মধ্যে দিয়ে যাওয়ার সময় সবুজ ছাড়া অন্য রংয়ের অংশগুলো প্রথমে ফিল্টার হয়ে যায় এবং উপরের অংশে (২৩ থেকে ১১ মিটার) সবুজ আলোই প্রধান থাকে। নিচে এক ধরনের দুর্বল আলো থাকে, যা প্রধানত মানুষের চোখে অদৃশ্য নিকট-ইনফ্রারেড রশ্মি দ্বারা দখল করা থাকে।<ref> {{citation | author = De Castro, Francisco | year = 1999 | title = Light spectral composition in a tropical forest: measurements and model | journal = tree physiology}} </ref>
====সংবেদনশীলতা অনুমান সম্পর্কিত সমস্যা====
গভীর সাগরের বাইরে অন্য যে কোনো আবাসস্থলের জন্য সংবেদনশীলতা অনুমান যথেষ্ট নয়। পরিষ্কার পানির উপরের অংশের পরিবেশের স্পেকট্রাম অনুযায়ী ভিজ্যুয়াল পিগমেন্টের সর্বোচ্চ শোষণ তরঙ্গদৈর্ঘ্য বেশি হওয়া উচিত, কিন্তু বাস্তবে এমন হয় না। কোনও সরিসৃপ এর রডের সর্বোচ্চ শোষণ ৫২৫ nm এর বেশি তরঙ্গদৈর্ঘ্যে দেখা যায় না, যদিও উচ্চ তরঙ্গদৈর্ঘ্যের আলো তীব্রতা ক্রমাগত বৃদ্ধি পায়। অধিকাংশ রডের শোষণ প্রায় ৫০০ nm বা তার কমে শিখরযুক্ত। এমনকি রাতের বেলায় সক্রিয় কিছু কীটপতঙ্গেরও শোষণ শিখর ৫৪৫ nm এর বেশি নয়।
একটি সম্ভাব্য কারণ হলো, উচ্চ তরঙ্গদৈর্ঘ্যের আলো সনাক্ত করার জন্য ব্যবহৃত ভিজ্যুয়াল পিগমেন্টগুলো কম নির্ভরযোগ্য কারণ তাদের কম তাপীয় সক্রিয়তার সীমা। ফলে, এগুলো তাপীয় শব্দে বেশি সংবেদনশীল। তাপীয় শব্দ ভিজ্যুয়াল সিস্টেমের সীমাবদ্ধতা হিসেবে কাজ করতে পারে — এই ধারণা ঠাণ্ডা রক্তবিশিষ্ট জলজ উভচর প্রাণীদের উপর করা পরীক্ষা দ্বারা সমর্থিত। ব্যাঙ ও তোয়াদ মানুষের তুলনায় কম আলোতে অধিক কার্যকর এবং তাপমাত্রা বৃদ্ধির সঙ্গে তাদের কার্যকারিতা কমে, যা প্রাণীর সর্বনিম্ন পর্যবেক্ষণযোগ্য তীব্রতা ও রেটিনার তাপীয় আইসোমারাইজেশন রেট (অর্থাৎ কতবার ভিজ্যুয়াল পিগমেন্ট তাপীয় আন্দোলনের কারণে ট্রিগার হয়, আলো থেকে নয়) এর মধ্যে একটি একরৈখিক সম্পর্ক নির্দেশ করে। <ref> {{citation | author =Aho et al. | title = Low retinal noise in animals with low body temperature allows high visual sensitivity | journal = Nature | year = 1988}} </ref>
===সত্যিকারের চোখের মৌলিক নকশা মূলনীতি===
একটি চোখকে "সত্যিকারের চোখ" ধরা হয় যদি এটি স্থানীয় দৃষ্টিশক্তি সক্ষম হয়, অর্থাৎ এটি কিছু রকমের স্থানীয় রেজোলিউশন এবং চিত্রায়ন করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, একটি চোখ স্পট — যা একটি সরল ফোটোরিসেপ্টর প্যাচ — তা সত্যিকারের চোখ নয় কারণ এটি শুধুমাত্র আলো উপস্থিতি সনাক্ত করতে পারে, তবে এর উৎস সঠিকভাবে নির্ণয় করতে পারে না, কেবলমাত্র একটি আনুমানিক দিক নির্দেশ করতে পারে। এই ধরনের চোখগুলোরও ব্যবহার আছে: একটি মাটির নিচে থাকা প্রাণী যখন পৃথিবীর পৃষ্ঠে উঠে আসে তা সনাক্ত করতে পারে, অথবা একজন প্রাণী জানতেপারে সে ছায়ার মধ্যে ঢুকেছে বা বের হয়েছে, কিংবা এটি বিপজ্জনক মাত্রার অতিবেগুনি রশ্মি সনাক্ত করার জন্য ব্যবহার করতে পারে।<ref> {{citation | author=Nilsson, DE | title=Eye evolution and its functional basis |year=2013 | journal=Visual Neuroscience}} </ref>
পরবর্তী আলোচনায় আমরা সত্যিকারের চোখ নিয়ে কাজ করব। সব সত্যিকারের চোখের রেটিনায় ফোটোরিসেপ্টর নির্দিষ্ট অবস্থানে থাকে এবং তারা আশপাশের পৃথিবীর একটি সুনির্দিষ্ট অংশ থেকে আলো গ্রহণ করে। এর মানে প্রতিটি ফোটোরিসেপ্টর একটি পিক্সেলের মতো কাজ করে। ফোটোরিসেপ্টর যে স্থান থেকে আলো গ্রহণ করে তা সীমাবদ্ধ করতে, সব সত্যিকারের চোখে একটি অ্যাপারচার বা পিউপিল থাকে।
একটি প্রাণীর চোখের আকার তার জৈবিক শক্তি চাহিদার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় — বড় চোখের যত্ন-নিয়ন্ত্রণে বেশি খরচ হয়। নির্দিষ্ট আকারের চোখে রেজোলিউশন এবং সংবেদনশীলতার মধ্যে অবশ্যম্ভাবীভাবে একটি সমঝোতা থাকে। উচ্চ রেজোলিউশন ভিশনের জন্য ছোট এবং ঘন পিক্সেল/ফোটোরিসেপ্টর দরকার, যেগুলো কম আলোর তীব্রতায় বেশি শব্দ সংবেদনশীল হয়। এজন্য একটি রাত্রিকালীন প্রাণী হয়তো এমন পিক্সেল বিকশিত করবে যা তুলনামূলক বড় আকারের এবং বেশি আলো ধরে, যদিও এর ফলে রেজোলিউশন কমে যায়।
====সংবেদনশীলতাকে সীমাবদ্ধকারী শব্দের ধরণগুলি====
বহিরাগত এবং অভ্যন্তরীণ শব্দের বিভিন্ন ধরণ রয়েছে।
'''[https://en.wikipedia.org/wiki/Shot_noise শট নয়েজ]''' আলোর কণার প্রকৃতির কারণে, একটি ফোটোরিসেপ্টরে পৌঁছানো ফোটনের সংখ্যা একটি পোয়াসঁ প্রক্রিয়া হিসেবে বর্ণনা করা যায়, যার সংকেত থেকে শব্দ অনুপাত (SNR) হয়:
<math>\mathrm{SNR} = \frac{N}{\sqrt{N}} = {\sqrt {N}}. , </math>
এখানে N হল গড় ইনসিডেন্ট ফোটনের সংখ্যা এবং <math> \sqrt{N} </math> হল স্ট্যান্ডার্ড ডিভিয়েশন। মানুষের চোখ মাত্র ৫ থেকে ১৫ ফোটনও অনুভব করতে সক্ষম<ref> {{citation | author =Pirenne, M.H. | title= Vision and the Eye | year=1948 | publisher = Chapman and Hall, Ltd.}} </ref>, কিন্তু আলো উৎসের অস্তিত্ব ছাড়া অন্য কোনো বৈশিষ্ট্য দেখা সম্ভব নয়। ডি ভ্রিস-রোজ স্কয়ার আইন বর্ণনা করে কিভাবে কনট্রাস্ট SNR এর সাথে বাড়ে। <ref> {{citation| author = Rose, A. | title=The Sensitivity Performance of the Human Eye on an Absolute Scale | journal = Journal of the Optical Society of America| year=1948}} </ref> এর অর্থ, সবচেয়ে ন্যূনতম কনট্রাস্ট যা অনুভব করা যায় তা শট নয়েজ দ্বারা নির্ধারিত।
'''ট্রান্সডিউসার নয়েজ'''
ফোটোরিসেপ্টর প্রতিটি শোষিত ফোটনের জন্য সমান বৈদ্যুতিক সংকেত দিতে অক্ষম।<ref> {{citation | author= P. G. Lillywhite & S. B. Laughlin | title= Transducer noise in a photoreceptor | year =1980 | journal = Nature}} </ref>
'''অন্ধকার বা তাপীয় শব্দ'''
আগেই আলোচনা করা হয়েছে, শব্দের আরেকটি উৎস হল ফোটনের সংকেত প্রক্রিয়াকরণে সংশ্লিষ্ট বায়োরাসায়নিক পথের তাপীয় এলোমেলো সক্রিয়তা। বেইলর এবং তার সহকর্মীরা অন্ধকার শব্দের দুটি উপাদান শনাক্ত করেন: একটি ক্ষুদ্র ধারাবাহিক ওঠানামা এবং ফোটনের আগমনের সঙ্গে অনির্দেশ্যভাবে মিল রেখে ঘটে যাওয়া ঘটনাসদৃশ স্পাইক, যা একটি ভিজ্যুয়াল পিগমেন্টের তাপীয় সক্রিয়তার কারণে ঘটে থাকে।<ref> {{citation | author= Baylor et al | title= Two components of electrical dark noise in toad retinal rod outer segments | year =1979 | journal = Journal of Physiology}} </ref>
====সংবেদনশীলতার সূত্র====
একটি চোখের অপটিক্যাল সংবেদনশীলতা (S) নিরূপণ করতে তিনটি উপাদানকে গুণ করতে হয়: পিউপিলের ক্ষেত্রফল, ফোটোরিসেপ্টরের দেখা কঠিন কোণ এবং শোষিত আলোর ভগ্নাংশ।<ref name="warrant1998"> {{ citation | author =Warrant EJ, Nilsson DE | title=Absorption of white light in photoreceptors |year=1998|journal=Vision Research}} </ref>
<math> S = \frac{\pi}{4} A^2 \cdot \frac{\pi}{4} \frac{d^2}{f^2} \cdot \frac{kl}{2.3+kl} \quad \text{(বিস্তৃত তরঙ্গদৈর্ঘ্যের জন্য)}</math>
এখানে A হল অ্যাপারচারের ব্যাস, f হল চোখের ফোকাল দৈর্ঘ্য, এবং d, l ও k যথাক্রমে ফোটোরিসেপ্টরের ব্যাস, দৈর্ঘ্য ও শোষণ সহগ। উপরোক্ত সমীকরণে শোষিত আলোর ভগ্নাংশ দিনের আলোর (ব্রড-স্পেকট্রাম) জন্য হিসাব করা হয়েছে। গভীর সমুদ্রে আলো প্রধানত ৪৮০ nm তরঙ্গদৈর্ঘ্যের মনোক্রোম্যাটিক নীল আলো, তাই সেখানে ভগ্নাংশের পরিবর্তে সরাসরি absorptance ব্যবহার করা যায়।<ref name="warrant1998" />
<math> S = \frac{\pi}{4} A^2 \cdot \frac{\pi}{4} \frac{d^2}{f^2} \cdot (1-e^{-kl}) \quad \text{(মনোক্রোম্যাটিক)}</math>
শোষণ সহগ k নির্দেশ করে, প্রতি একক দৈর্ঘ্যে একটি ফোটোরিসেপ্টর কতটুকু আলো শোষণ করে। ওয়ারেন্ট এবং নিলসন (1998) বিভিন্ন প্রাণীর জন্য k এর মান দিয়েছেন, যেমন: গৃহমাছির জন্য 0.005 μm⁻¹, গভীর সমুদ্রের মাছের জন্য 0.064 μm⁻¹, আর মানুষের রড কোষের জন্য 0.028 μm⁻¹। আশ্চর্যের বিষয়, তিনি লক্ষ্য করেন যে, একই আলোর তীব্রতায় বসবাসকারী অমেরুদণ্ডী প্রাণীদের তুলনায় মেরুদণ্ডী প্রাণীদের k এর মান প্রায় পাঁচগুণ বেশি।
{| class="wikitable" style="margin: 1em auto 1em auto;"
|+ '''অন্ধকারে অভিযোজিত চোখের অপটিক্যাল সংবেদনশীলতা ও ফোটোরিসেপ্টর গ্রহণ কোণ'''
|-
! প্রজাতি !! প্রাণী !! চোখের ধরন !! A (μm) !! d (μm) !! f (μm) !! l (μm) !! S (μm<sup>2</sup> sr) !! Δρ (°)
|-
| Cirolana || আইসোপড || নিম্ন-মেসোপেলাজিক অ্যাপোজিশন || ১৫০ || ৯০ || ১০০ || ৯০ || ৫,০৯২ c || ৫২
|-
| Oplophorus || চিংড়ি || মেসোপেলাজিক সুপারপজিশন || ৬০০ || ২০০ b || ২২৬ || ২০০ b || ৩,৩০০ c || ৮.১
|-
| Dinopis || মাকড়সা || নিশাচর ক্যামেরা e || ১,৩২৫ || ৫৫ || ৭৭১ || ৫৫ || ১০১ || ১.৫
|-
| Deilephila || হক মথ || নিশাচর সুপারপজিশন || ৯৩৭ d || ৪১৪ b || ৬৭৫ || ৪১৪ b || ৬৯ || ০.৯
|-
| Onitis aygulus || গো-মাছা || নিশাচর সুপারপজিশন || ৮৪৫ || ৮৬ || ৫০৩ || ৮৬ || ৫৮.৯ || ৩.৩
|-
| Ephestia || মথ || নিশাচর সুপারপজিশন || ৩৪০ || ১১০ b || ১৭০ || ১১০ b || ৩৮.৪ || ২.৭
|-
| Macroglossum || হক মথ || দিবাচর সুপারপজিশন || ৫৮১ d || ৩৬২ b || ৪০৯ || ৩৬২ b || ৩৭.৯ || ১.১
|-
| Octopus || অক্টোপাস || এপিপেলাজিক ক্যামেরা || ৮,০০০ || ২০০ || ১০,০০০ || ২০০ || ৪.২ c || ০.০২
|-
| Pecten || স্ক্যালপ || উপকূলীয় অবতল দর্পণ || ৪৫০ || ১৫ || ২৭০ || ১৫ || ৪ || ১.৬
|-
| Megalopta || সুইট মৌমাছি || নিশাচর অ্যাপোজিশন || ৩৬ || ৩৫০ || ৯৭ || ৩৫০ || ২.৭ || ৪.৭
|-
| Bufo || টোড || নিশাচর ক্যামেরা || ৫,৫৫০ || ৫৪ || ৪,৭১৪ || ৫৪ || ২.৪১ || ০.০৩
|-
| Architeuthis || স্কুইড || নিম্ন-মেসোপেলাজিক ক্যামেরা || ৯০,০০০ || ৬৭৭ || ১১২,৫০০ a || ৬৭৭ || ২.৩ c || ০.০০২
|-
| Onitis belial || গো-মাছা || দিবাচর সুপারপজিশন || ৩০৯ || ৩২ || ৩৩৮ || ৩২ || ১.৯ || ১.১
|-
| Planaria || ফ্ল্যাটওয়ার্ম || রঞ্জক কাপ || ৩০ || ৬ || ২৫ || ৬ || ১.৫ || ২২.৯
|-
| Homo || মানব || দিবাচর ক্যামেরা || ৮,০০০ || ৩০ || ১৬,৭০০ || ৩০ || ০.৯৩ || ০.০১
|-
| Littorina || সামুদ্রিক শামুক || উপকূলীয় ক্যামেরা || ১০৮ || ২০ || ১২৬ || ২০ || ০.৪ || ১.৮
|-
| Vanadis || সামুদ্রিক কৃমি || উপকূলীয় ক্যামেরা || ২৫০ || ৮০ || ১,০০০ || ৮০ || ০.২৬ || ০.৩
|-
| Apis || মৌমাছি || দিবাচর অ্যাপোজিশন || ২০ || ৩২০ || ৬৬ || ৩২০ || ০.১ || ১.৭
|-
| Phidippus || মাকড়সা || দিবাচর ক্যামেরা f || ৩৮০ || ২৩ || ৭৬৭ || ২৩ || ০.০৩৮ || ০.২
|-
|+ S = সংবেদনশীলতা, Δρ = ফোটোরিসেপ্টর গ্রহণ কোণ (উল্লেখিত সমীকরণ থেকে), A = অ্যাপারচারের ব্যাস; d ও l = ফোটোরিসেপ্টরের ব্যাস ও দৈর্ঘ্য; f = ফোকাল দৈর্ঘ্য। উৎস: *ভিজ্যুয়াল ইকোলজি* (২০১৪)
|}
== নোটসমূহ ==
S-এর একক হলো μm<sup>2</sup> sr। Δρ নিচের সমীকরণ ব্যবহার করে নিরূপণ করা হয়েছে এবং এর একক ডিগ্রি। চোখের ধরনগুলোর সম্পূর্ণ বর্ণনার জন্য অধ্যায় ৫ দেখুন।
* a: ফোকাল দৈর্ঘ্য গণনা করা হয়েছে ম্যাথিয়েসেন অনুপাত ব্যবহার করে: f = 1.25 A
* b: র্যাবডম দৈর্ঘ্য দ্বিগুণ ধরা হয়েছে কারণ সেখানে একটি ট্যাপেটাম বিদ্যমান।
* c: S গণনা করা হয়েছে k = 0.0067 μm<sup>–1</sup> দিয়ে, মনোক্রোম্যাটিক আলোর জন্য প্রযোজ্য সমীকরণ ব্যবহার করে। অন্যান্য সকল মান ব্রড-স্পেকট্রাম আলোর জন্য ব্যবহৃত সমীকরণ দিয়ে নিরূপণ করা হয়েছে।
* d: মান নেওয়া হয়েছে সম্মুখ চোখ থেকে।
* e: পশ্চাৎ-মধ্য (PM) চোখ।
* f: অগ্র-পার্শ্ব (AL) চোখ।
উৎস: *Visual Ecology*, ২০১৪।
== রেজোলিউশন সীমাবদ্ধকারী উপাদানসমূহ ==
ফোটোরিসেপ্টরের রিসেপ্টিভ ফিল্ডের আকার আনুমানিকভাবে নির্ণয় করা যায় নিচের সমীকরণ দিয়ে:<ref name = "ve2014"/>
<math> \Delta \rho = \frac{d}{f} </math>
এখানে d হলো ফোটোরিসেপ্টরের ব্যাস এবং f হলো ফোকাল দৈর্ঘ্য। এই সমীকরণ থেকে বোঝা যায়, বড় চোখে ভালো রেজোলিউশন পাওয়া সম্ভব, কারণ এর ফোকাল দৈর্ঘ্য বেশি হলেও ফোটোরিসেপ্টরের আকার একই থাকে। মূলত, রেটিনায় যত বেশি ফোটোরিসেপ্টর সংযুক্ত করা যায়, রেজোলিউশন তত উন্নত হয়। শিকারি পাখিদের দৃষ্টিশক্তি মানুষের চেয়ে অনেক বেশি সূক্ষ্ম। উদাহরণস্বরূপ, ঈগলের চোখ মানুষের চোখের মতোই বড়, অর্থাৎ শরীরের তুলনায় অনেক বড়, এবং তাতে ফোটোরিসেপ্টরের ঘনত্বও অনেক বেশি।
তবে আরও কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। ফটোগ্রাফির মতো, চোখের লেন্সেও বিভিন্ন ধরনের ত্রুটি দেখা যায়।
'''[https://en.wikipedia.org/wiki/Diffraction বিচ্ছুরণ]''' চিত্রকে ঝাপসা করে তোলে। একটি বিন্দুযুক্ত আলোর উৎস (যেমন, রাতের আকাশের একটি তারা) একটি বৃহৎ বিন্দু হিসেবে দেখা যায়, যার চারপাশে ক্ষীণ বৃত্ত থাকে। এই চিত্রকে *Airy Disk* বলা হয়। এই ঝাপসা দৃষ্টি তখন ঘটে যখন আলোর উৎস থেকে আসা আলো একাধিক ফোটোরিসেপ্টরে পড়ে।<ref name="birdybird"> {{citation | author=Jones et al. | title= Avian Vision: A Review of Form and Function with Special Consideration to Birds of Prey| journal=Journal of Exotic Pet Medicine| year=2007}} </ref>
[[File:Airy-pattern.svg|thumb|কম্পিউটারে তৈরি একটি এয়ারি ডিস্কের চিত্র। বাইরের বলয়ের উজ্জ্বলতা বাড়ানোর জন্য গ্রেস্কেল ইনটেনসিটি সমন্বয় করা হয়েছে।]]
'''[https://en.wikipedia.org/wiki/Chromatic_aberration বর্ণবিচ্ছিন্ন ত্রুটি]''' প্রতিসরণ সূচক *n* হলো তরঙ্গদৈর্ঘ্যের একটি ফাংশন। এর মানে হলো, একটি লেন্স সব তরঙ্গদৈর্ঘ্যের আলোকে একই বিন্দুতে কেন্দ্রীভূত করতে পারে না। কিছু মাকড়সা এই বৈশিষ্ট্যকে গভীরতা অনুধাবনের জন্য ব্যবহার করতে অভিযোজিত হয়েছে। জাম্পিং স্পাইডারের রেটিনায় চারটি স্তর থাকে, যেগুলোর প্রতিটিতে ভিন্ন তরঙ্গদৈর্ঘ্যের আলো ফোকাস হয়। নাগাতা প্রমুখ গবেষণায় দেখতে পান যে সবুজ ফোটোরিসেপ্টর সবচেয়ে গভীর এবং দ্বিতীয় গভীর স্তর উভয়তেই উপস্থিত, যদিও সবুজ আলো সবচেয়ে গভীর স্তরে ফোকাস হয়। এর ফলে, দ্বিতীয় গভীর স্তরে সবুজ চিত্র সর্বদা অস্পষ্ট থাকে। এই স্তরগুলোর মধ্যে মিল না থাকাকে কাজে লাগিয়ে জাম্পিং স্পাইডার গভীরতা উপলব্ধি করতে সক্ষম হয়।<ref> {{citation| author = Nagata | title=Depth perception from image defocus in a jumping spider.|year=2012|journal=Science}} </ref>
কিছু মাছ এই বর্ণবিচ্ছিন্ন ত্রুটিকে কাটিয়ে উঠতে বহুফোকাল লেন্সের অভিযোজন ঘটিয়েছে।<ref>{{citation | author=Kröger et al. |title=Multifocal lenses compensate for chromatic defocus in vertebrate eyes.|year=1999|Journal of Computational Physiology}}</ref>
'''[https://en.wikipedia.org/wiki/Spherical_aberration গোলীয় ত্রুটি]''' বাস্তব লেন্সগুলো সমান্তরাল আলোকে একটি বিন্দুতে ফোকাস করতে পারে না, ফলে গোলীয় ত্রুটি নামে একটি সমস্যা দেখা দেয়। এই সমস্যাকে মোকাবিলা করতে যেসব অভিযোজন ঘটেছে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে অ-গোলীয় লেন্স (যদিও এতে অন্য সমস্যা সৃষ্টি হয়) এবং ধাপে পরিবর্তিত প্রতিসরণ সূচকযুক্ত লেন্স।
আরও একটি সমস্যা আছে যেটা এখানে আলোচনা করা হয়নি, তা হলো ফোটোরিসেপ্টরগুলোর মধ্যে অপটিকাল ক্রস টক।
== তথ্যসূত্র ==
{{সূত্র তালিকা}}
{{BookCat}}
4y9j7s7lu0crwwjh4c7il3wwix8q0j8
84645
84644
2025-06-17T07:26:24Z
SMontaha32
11242
/* নোটসমূহ */
84645
wikitext
text/x-wiki
==দৈহিক প্রজাতি ভিত্তিক ভিজ্যুয়াল সিস্টেমের তুলনা==
এই অধ্যায়ে আমরা সংক্ষেপে তিন ধরনের মৌলিক ফটোরিসেপ্টর কোষ সম্পর্কে আলোচনা করব। এরপর আমরা পশুদের ভিজ্যুয়াল সিস্টেমের ভিজ্যুয়াল ইকোলজি অন্বেষণ শুরু করব: কীভাবে এগুলো বিভিন্ন স্পেকট্রাম ও আলোতীব্রতার সাথে খাপ খায়। এটি সংবেদনশীলতা এবং রেজোলিউশনের মধ্যে একটি ট্রেডঅফের দিকে নিয়ে যায়, কারণ উভয়ই পশুর প্রাপ্য সম্পদের জন্য প্রতিযোগিতা করে। যদি আলাদা করে উল্লেখ না করা হয়, এই অধ্যায়ের তথ্যসমূহ প্রখ্যাত বই ''ভিজ্যুয়াল ইকোলজি'' থেকে নেওয়া। <ref name=ve2014> {{Citation | author= Thomas W. Cronin, Sönke Johnsen, N. Justin Marshall, Eric J. Warrant| title= Visual Ecology | year = 2014 | publisher=Princeton University Press |ref=ve2014}} </ref>
===ফটোরিসেপ্টরের মৌলিক শ্রেণিসমূহ===
প্রাণী রাজ্যে ফটোরিসেপ্টর কোষের বিশাল বৈচিত্র্য বিদ্যমান। পার্থক্য থাকলেও এরা সকলেই একই মূল নীতিতে কাজ করে: যেহেতু ভিজ্যুয়াল পিগমেন্ট — যেগুলো ফোটন সনাক্ত করার জন্য দায়ী — শুধুমাত্র কোষের ঝিল্লিতে অবস্থান করতে পারে, তাই সব ফটোরিসেপ্টর যথেষ্ট ফোটন ধারণের জন্য ঝিল্লির স্তর তৈরি করে।
ফটোরিসেপ্টর কোষের দুইটি মৌলিক শ্রেণি রয়েছে। কশেরুকী প্রাণীদের (স্তন্যপায়ী, মাছ, পাখি, সরীসৃপ ইত্যাদি) ভিজ্যুয়াল রিসেপ্টর সিলিয়ারি এপিথেলিয়াল কোষ থেকে উদ্ভূত, তাই এগুলোকে "সিলিয়ারি রিসেপ্টর" বলা হয়। এগুলো আরও রড এবং কোণ হিসাবে বিভক্ত, অধিকাংশ কশেরুকী প্রাণীর দুটোই থাকে। সিলিয়ারি রিসেপ্টররা তাদের ঝিল্লিকে বাহ্যিক অংশে স্তূপাকৃত করে (ছবি দেখুন)।
অর্থ্রোপোড (পোকা, ক্রাস্টেসিয়ান ইত্যাদি) ও মোলাস্ক (স্ক্যালপ, অক্টোপাস ইত্যাদি) অজস্র ছোট, সিলিন্ডারাকৃত মাইক্রোভিলি রয়েছে, যেগুলোতে ভিজ্যুয়াল পিগমেন্ট থাকে। এই সিলিন্ডারগুলো কোষদেহ থেকে বেরিয়ে দাঁতের ব্রাশের ব্রিস্টলসের মতো। এই রিসেপ্টর কোষগুলোকে রাবডোম বলা হয়। খুব কিছু প্রাণী যেমন স্ক্যালপ উভয় সিলিয়ারি ও রাবডোমেরিক ফটোরিসেপ্টর ব্যবহার করে।
{|style="background:transparent; color:black" border="0" height="230" align="center" valign="bottom" cellpadding=10px cellspacing=0px
|+style="background:transparent; color:black"|''''' রিসেপ্টর কোষসমূহ '''''
|-align="center"
|
| [[File:Rod Cell.svg|thumb|রড কোষ: নিচ থেকে আলো আসছে]]
|
| [[File:Cone cell eng.png|thumb|কোন কোষ: নিচ থেকে আলো আসছে]]
|
|-align="center" valign="top"
|}
===স্পেকট্রামের বিভিন্ন অংশে সংবেদনশীলতা===
সকল প্রাণীর মধ্যে দৃষ্টি শুরু হয় আলোকে ফটোকেমিক্যালভাবে সনাক্ত করার মাধ্যমে। ফটোপিগমেন্ট হলো এমন অণু যেগুলো একটি ফোটন ধরার সময় পরিবর্তিত হয় (এই প্রক্রিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত [[Sensory_Systems/Visual_System#Creation_of_the_initial_signals_-_Photosensor_Function|এখানে]] পাওয়া যাবে)। ভিজ্যুয়াল সিস্টেমে ব্যবহৃত ফটোপিগমেন্টগুলোকে ভিজ্যুয়াল পিগমেন্ট বলা হয়। বিভিন্ন ধরনের ভিজ্যুয়াল পিগমেন্ট রয়েছে এবং এদের বিভিন্ন শোষণ স্পেকট্রাম থাকে অর্থাৎ তারা আলোর বিভিন্ন রং সনাক্ত করতে পারে। রঙিন দর্শনসম্পন্ন প্রাণীদের একাধিক ভিজ্যুয়াল পিগমেন্ট প্রয়োজন বিভিন্ন স্পেকট্রাল সংবেদনশীলতার জন্য। তবে অধিকাংশ প্রাণীর এক ধরনের ভিজ্যুয়াল পিগমেন্টই অধিক মাত্রায় প্রকাশ পায়। এর একটি যুক্তিযুক্ত ব্যাখ্যা হলো সংবেদনশীলতা হাইপোথিসিস। এর একটি সম্ভাব্য বিবৃতি হতে পারে:
{{quote|
|text = "একটি নির্দিষ্ট প্রজাতির রড ভিজ্যুয়াল পিগমেন্ট প্রাকৃতিক পরিবেশে ফোটন গ্রহনের সর্বোচ্চ মাত্রা অর্জনের জন্য স্পেকট্রালভাবে স্থাপন করা হয়"
|sign= Cronin et al.
|source = Visual Ecology
}}
রডগুলো কম আলোতে দেখার জন্য দায়ী যেখানে উপলব্ধ আলো খুবই দুর্বল এবং উপলব্ধ আলোর প্রতি সংবেদনশীল থাকা জরুরি। এই হাইপোথিসিস গভীর সমুদ্রের প্রাণীদের ওপর গবেষণার সময় তৈরি হয়েছিল এবং সেখানে এটি ভালোমতো প্রযোজ্য। অন্য সকল আবাসস্থলের জন্য এটি কিছুটা সমস্যাযুক্ত।
====গভীর সমুদ্রে স্পেকট্রাল অভিযোজন====
[[File:Spectra at various daytimes.png|thumb|এই গ্রাফে দেখানো হয়েছে কিভাবে স্থলভিত্তিক আবাসস্থলে সময়ের সাথে স্পেকট্রাম পরিবর্তিত হতে পারে।]]
ডেন্টন এবং ওয়ারেনের পাশাপাশি ১৯৫৭ সালে মঞ্জের প্রাথমিক গবেষণায় দেখা গেছে গভীর সমুদ্রের প্রাণীদের ভিজ্যুয়াল পিগমেন্টের সর্বোচ্চ শোষণ ব্লু অংশে হয়। সাম্প্রতিক একটি গভীর সমুদ্র মাছের গবেষণায় রিপোর্ট করা হয়েছে সর্বোচ্চ শোষণ প্রায় ৪৮০ nm এর কাছাকাছি কেন্দ্রিত।<ref> {{Citation|author=Douglas et al. | year=2003 | title=Sensory Processing in Aquatic Environments | chapter=Spectral Sensitivity Tuning in the Deep-Sea }} </ref> এটি গভীর সমুদ্রের স্পেকট্রামের সাথে মিলে যায় যেখানে অনেক মিটার জল অন্য সকল তরঙ্গদৈর্ঘ্যকে ফিল্টার করে ফেলে। কেন গভীর সমুদ্রের চিংড়িগুলো প্রায় ৫০০ nm তরঙ্গদৈর্ঘ্যে সর্বোচ্চ শোষণ করে তা এখনও বোঝা যায়নি। <ref>{{Citation|author=Marshall et al. | year=2003 | title=Sensory Processing in Aquatic Environments | chapter=The design of color signals and color vision in fishes }} </ref>
মেরিন স্তন্যপায়ীরা স্থলভিত্তিক স্তন্যপায়ীদের তুলনায় অনেক বিস্তৃত তরঙ্গদৈর্ঘ্যের সর্বোচ্চ শোষণ দেখায়। যেখানে স্থলভিত্তিক স্তন্যপায়ীদের রড পিগমেন্ট প্রায় ৫০০ nm তরঙ্গদৈর্ঘ্যে সর্বোচ্চ শোষণ করে, সেখানে মেরিন স্তন্যপায়ীদের শোষণ ৪৮০ থেকে ৫০৫ nm এর মধ্যে পরিবর্তিত হয়। গভীরে খাদ্য সংগ্রহকারী প্রাণীদের ভিজ্যুয়াল পিগমেন্ট ব্লু রংয়ের দিকে সরানো থাকে (λ<sub>max</sub> ≤ ৪৯০ nm) এবং উপকূলীয় অঞ্চলে বসবাসকারী স্তন্যপায়ীদের λ<sub>max</sub> মান স্থলভিত্তিক প্রাণীদের কাছাকাছি থাকে।<ref>{{Citation|author=Fasick JI, Robinson PR. | year=2000 | title= Spectral-tuning mechanisms of marine mammal rhodopsins and correlations with foraging depth.}} </ref>
====বিভিন্ন আবাসস্থলের স্পেকট্রা====
{{multiple image
| header = পানির নিচের আবাসস্থলে রং
| direction = vertical
| width = 250
| footer = ১০ মিটার গভীরতার উপরে নেওয়া একটি প্রবাল প্রাচীরের ছবি। সংশোধিত ছবিটি দেখায় প্রবাল প্রাচীরটি ব্রড ডে-লাইটে কেমন দেখাতে পারে।
| image1 = Korallenriff ungefiltert.jpg
| alt1 = প্রবাল প্রাচীরের মূল ছবি (ঠান্ডা রং)
| caption1 = সংশোধনহীন ছবি, যেখানে রংয়ের তাপমাত্রা প্রায় ৬০০০ K
| image2 = Korallenriff.jpg
| alt2 = সংশোধিত প্রবাল প্রাচীরের ছবি (গরম রং)
| caption2 = সংশোধিত ছবি, যেখানে রংয়ের তাপমাত্রা প্রায় ৪২০০ K
}}
আবাসস্থলগুলো খুবই স্বতন্ত্র স্পেকট্রাম ধারণ করে। আলোর তীব্রতা ও স্পেকট্রাম গঠন পৃথিবীর ওপর প্রবেশের কোণের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হয়। বায়ুমণ্ডলের পাশাপাশি পানি ও গাছপালা প্রাকৃতিক ফিল্টার হিসেবে কাজ করে। জলের মধ্যে লাল রং দ্রুত ফিল্টার হয়ে যায় এবং নীল রং গভীরতর পৌঁছায়।<ref> {{citation | title= Underwater light field and spectral distribution of attenuation depth in inland and coastal waters| author= Tuuli Kauer, Helgi Arst, Lea Tuvikene | year=2010 | journal = Oceanologia}}</ref>
একই ধরনের প্রভাব দেখা যায় বনজঙ্গলের গাছপালায় যেখানে সবুজ উদ্ভিদ আলো ফিল্টার করে। পাতার মধ্যে দিয়ে যাওয়ার সময় সবুজ ছাড়া অন্য রংয়ের অংশগুলো প্রথমে ফিল্টার হয়ে যায় এবং উপরের অংশে (২৩ থেকে ১১ মিটার) সবুজ আলোই প্রধান থাকে। নিচে এক ধরনের দুর্বল আলো থাকে, যা প্রধানত মানুষের চোখে অদৃশ্য নিকট-ইনফ্রারেড রশ্মি দ্বারা দখল করা থাকে।<ref> {{citation | author = De Castro, Francisco | year = 1999 | title = Light spectral composition in a tropical forest: measurements and model | journal = tree physiology}} </ref>
====সংবেদনশীলতা অনুমান সম্পর্কিত সমস্যা====
গভীর সাগরের বাইরে অন্য যে কোনো আবাসস্থলের জন্য সংবেদনশীলতা অনুমান যথেষ্ট নয়। পরিষ্কার পানির উপরের অংশের পরিবেশের স্পেকট্রাম অনুযায়ী ভিজ্যুয়াল পিগমেন্টের সর্বোচ্চ শোষণ তরঙ্গদৈর্ঘ্য বেশি হওয়া উচিত, কিন্তু বাস্তবে এমন হয় না। কোনও সরিসৃপ এর রডের সর্বোচ্চ শোষণ ৫২৫ nm এর বেশি তরঙ্গদৈর্ঘ্যে দেখা যায় না, যদিও উচ্চ তরঙ্গদৈর্ঘ্যের আলো তীব্রতা ক্রমাগত বৃদ্ধি পায়। অধিকাংশ রডের শোষণ প্রায় ৫০০ nm বা তার কমে শিখরযুক্ত। এমনকি রাতের বেলায় সক্রিয় কিছু কীটপতঙ্গেরও শোষণ শিখর ৫৪৫ nm এর বেশি নয়।
একটি সম্ভাব্য কারণ হলো, উচ্চ তরঙ্গদৈর্ঘ্যের আলো সনাক্ত করার জন্য ব্যবহৃত ভিজ্যুয়াল পিগমেন্টগুলো কম নির্ভরযোগ্য কারণ তাদের কম তাপীয় সক্রিয়তার সীমা। ফলে, এগুলো তাপীয় শব্দে বেশি সংবেদনশীল। তাপীয় শব্দ ভিজ্যুয়াল সিস্টেমের সীমাবদ্ধতা হিসেবে কাজ করতে পারে — এই ধারণা ঠাণ্ডা রক্তবিশিষ্ট জলজ উভচর প্রাণীদের উপর করা পরীক্ষা দ্বারা সমর্থিত। ব্যাঙ ও তোয়াদ মানুষের তুলনায় কম আলোতে অধিক কার্যকর এবং তাপমাত্রা বৃদ্ধির সঙ্গে তাদের কার্যকারিতা কমে, যা প্রাণীর সর্বনিম্ন পর্যবেক্ষণযোগ্য তীব্রতা ও রেটিনার তাপীয় আইসোমারাইজেশন রেট (অর্থাৎ কতবার ভিজ্যুয়াল পিগমেন্ট তাপীয় আন্দোলনের কারণে ট্রিগার হয়, আলো থেকে নয়) এর মধ্যে একটি একরৈখিক সম্পর্ক নির্দেশ করে। <ref> {{citation | author =Aho et al. | title = Low retinal noise in animals with low body temperature allows high visual sensitivity | journal = Nature | year = 1988}} </ref>
===সত্যিকারের চোখের মৌলিক নকশা মূলনীতি===
একটি চোখকে "সত্যিকারের চোখ" ধরা হয় যদি এটি স্থানীয় দৃষ্টিশক্তি সক্ষম হয়, অর্থাৎ এটি কিছু রকমের স্থানীয় রেজোলিউশন এবং চিত্রায়ন করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, একটি চোখ স্পট — যা একটি সরল ফোটোরিসেপ্টর প্যাচ — তা সত্যিকারের চোখ নয় কারণ এটি শুধুমাত্র আলো উপস্থিতি সনাক্ত করতে পারে, তবে এর উৎস সঠিকভাবে নির্ণয় করতে পারে না, কেবলমাত্র একটি আনুমানিক দিক নির্দেশ করতে পারে। এই ধরনের চোখগুলোরও ব্যবহার আছে: একটি মাটির নিচে থাকা প্রাণী যখন পৃথিবীর পৃষ্ঠে উঠে আসে তা সনাক্ত করতে পারে, অথবা একজন প্রাণী জানতেপারে সে ছায়ার মধ্যে ঢুকেছে বা বের হয়েছে, কিংবা এটি বিপজ্জনক মাত্রার অতিবেগুনি রশ্মি সনাক্ত করার জন্য ব্যবহার করতে পারে।<ref> {{citation | author=Nilsson, DE | title=Eye evolution and its functional basis |year=2013 | journal=Visual Neuroscience}} </ref>
পরবর্তী আলোচনায় আমরা সত্যিকারের চোখ নিয়ে কাজ করব। সব সত্যিকারের চোখের রেটিনায় ফোটোরিসেপ্টর নির্দিষ্ট অবস্থানে থাকে এবং তারা আশপাশের পৃথিবীর একটি সুনির্দিষ্ট অংশ থেকে আলো গ্রহণ করে। এর মানে প্রতিটি ফোটোরিসেপ্টর একটি পিক্সেলের মতো কাজ করে। ফোটোরিসেপ্টর যে স্থান থেকে আলো গ্রহণ করে তা সীমাবদ্ধ করতে, সব সত্যিকারের চোখে একটি অ্যাপারচার বা পিউপিল থাকে।
একটি প্রাণীর চোখের আকার তার জৈবিক শক্তি চাহিদার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় — বড় চোখের যত্ন-নিয়ন্ত্রণে বেশি খরচ হয়। নির্দিষ্ট আকারের চোখে রেজোলিউশন এবং সংবেদনশীলতার মধ্যে অবশ্যম্ভাবীভাবে একটি সমঝোতা থাকে। উচ্চ রেজোলিউশন ভিশনের জন্য ছোট এবং ঘন পিক্সেল/ফোটোরিসেপ্টর দরকার, যেগুলো কম আলোর তীব্রতায় বেশি শব্দ সংবেদনশীল হয়। এজন্য একটি রাত্রিকালীন প্রাণী হয়তো এমন পিক্সেল বিকশিত করবে যা তুলনামূলক বড় আকারের এবং বেশি আলো ধরে, যদিও এর ফলে রেজোলিউশন কমে যায়।
====সংবেদনশীলতাকে সীমাবদ্ধকারী শব্দের ধরণগুলি====
বহিরাগত এবং অভ্যন্তরীণ শব্দের বিভিন্ন ধরণ রয়েছে।
'''[https://en.wikipedia.org/wiki/Shot_noise শট নয়েজ]''' আলোর কণার প্রকৃতির কারণে, একটি ফোটোরিসেপ্টরে পৌঁছানো ফোটনের সংখ্যা একটি পোয়াসঁ প্রক্রিয়া হিসেবে বর্ণনা করা যায়, যার সংকেত থেকে শব্দ অনুপাত (SNR) হয়:
<math>\mathrm{SNR} = \frac{N}{\sqrt{N}} = {\sqrt {N}}. , </math>
এখানে N হল গড় ইনসিডেন্ট ফোটনের সংখ্যা এবং <math> \sqrt{N} </math> হল স্ট্যান্ডার্ড ডিভিয়েশন। মানুষের চোখ মাত্র ৫ থেকে ১৫ ফোটনও অনুভব করতে সক্ষম<ref> {{citation | author =Pirenne, M.H. | title= Vision and the Eye | year=1948 | publisher = Chapman and Hall, Ltd.}} </ref>, কিন্তু আলো উৎসের অস্তিত্ব ছাড়া অন্য কোনো বৈশিষ্ট্য দেখা সম্ভব নয়। ডি ভ্রিস-রোজ স্কয়ার আইন বর্ণনা করে কিভাবে কনট্রাস্ট SNR এর সাথে বাড়ে। <ref> {{citation| author = Rose, A. | title=The Sensitivity Performance of the Human Eye on an Absolute Scale | journal = Journal of the Optical Society of America| year=1948}} </ref> এর অর্থ, সবচেয়ে ন্যূনতম কনট্রাস্ট যা অনুভব করা যায় তা শট নয়েজ দ্বারা নির্ধারিত।
'''ট্রান্সডিউসার নয়েজ'''
ফোটোরিসেপ্টর প্রতিটি শোষিত ফোটনের জন্য সমান বৈদ্যুতিক সংকেত দিতে অক্ষম।<ref> {{citation | author= P. G. Lillywhite & S. B. Laughlin | title= Transducer noise in a photoreceptor | year =1980 | journal = Nature}} </ref>
'''অন্ধকার বা তাপীয় শব্দ'''
আগেই আলোচনা করা হয়েছে, শব্দের আরেকটি উৎস হল ফোটনের সংকেত প্রক্রিয়াকরণে সংশ্লিষ্ট বায়োরাসায়নিক পথের তাপীয় এলোমেলো সক্রিয়তা। বেইলর এবং তার সহকর্মীরা অন্ধকার শব্দের দুটি উপাদান শনাক্ত করেন: একটি ক্ষুদ্র ধারাবাহিক ওঠানামা এবং ফোটনের আগমনের সঙ্গে অনির্দেশ্যভাবে মিল রেখে ঘটে যাওয়া ঘটনাসদৃশ স্পাইক, যা একটি ভিজ্যুয়াল পিগমেন্টের তাপীয় সক্রিয়তার কারণে ঘটে থাকে।<ref> {{citation | author= Baylor et al | title= Two components of electrical dark noise in toad retinal rod outer segments | year =1979 | journal = Journal of Physiology}} </ref>
====সংবেদনশীলতার সূত্র====
একটি চোখের অপটিক্যাল সংবেদনশীলতা (S) নিরূপণ করতে তিনটি উপাদানকে গুণ করতে হয়: পিউপিলের ক্ষেত্রফল, ফোটোরিসেপ্টরের দেখা কঠিন কোণ এবং শোষিত আলোর ভগ্নাংশ।<ref name="warrant1998"> {{ citation | author =Warrant EJ, Nilsson DE | title=Absorption of white light in photoreceptors |year=1998|journal=Vision Research}} </ref>
<math> S = \frac{\pi}{4} A^2 \cdot \frac{\pi}{4} \frac{d^2}{f^2} \cdot \frac{kl}{2.3+kl} \quad \text{(বিস্তৃত তরঙ্গদৈর্ঘ্যের জন্য)}</math>
এখানে A হল অ্যাপারচারের ব্যাস, f হল চোখের ফোকাল দৈর্ঘ্য, এবং d, l ও k যথাক্রমে ফোটোরিসেপ্টরের ব্যাস, দৈর্ঘ্য ও শোষণ সহগ। উপরোক্ত সমীকরণে শোষিত আলোর ভগ্নাংশ দিনের আলোর (ব্রড-স্পেকট্রাম) জন্য হিসাব করা হয়েছে। গভীর সমুদ্রে আলো প্রধানত ৪৮০ nm তরঙ্গদৈর্ঘ্যের মনোক্রোম্যাটিক নীল আলো, তাই সেখানে ভগ্নাংশের পরিবর্তে সরাসরি absorptance ব্যবহার করা যায়।<ref name="warrant1998" />
<math> S = \frac{\pi}{4} A^2 \cdot \frac{\pi}{4} \frac{d^2}{f^2} \cdot (1-e^{-kl}) \quad \text{(মনোক্রোম্যাটিক)}</math>
শোষণ সহগ k নির্দেশ করে, প্রতি একক দৈর্ঘ্যে একটি ফোটোরিসেপ্টর কতটুকু আলো শোষণ করে। ওয়ারেন্ট এবং নিলসন (1998) বিভিন্ন প্রাণীর জন্য k এর মান দিয়েছেন, যেমন: গৃহমাছির জন্য 0.005 μm⁻¹, গভীর সমুদ্রের মাছের জন্য 0.064 μm⁻¹, আর মানুষের রড কোষের জন্য 0.028 μm⁻¹। আশ্চর্যের বিষয়, তিনি লক্ষ্য করেন যে, একই আলোর তীব্রতায় বসবাসকারী অমেরুদণ্ডী প্রাণীদের তুলনায় মেরুদণ্ডী প্রাণীদের k এর মান প্রায় পাঁচগুণ বেশি।
{| class="wikitable" style="margin: 1em auto 1em auto;"
|+ '''অন্ধকারে অভিযোজিত চোখের অপটিক্যাল সংবেদনশীলতা ও ফোটোরিসেপ্টর গ্রহণ কোণ'''
|-
! প্রজাতি !! প্রাণী !! চোখের ধরন !! A (μm) !! d (μm) !! f (μm) !! l (μm) !! S (μm<sup>2</sup> sr) !! Δρ (°)
|-
| Cirolana || আইসোপড || নিম্ন-মেসোপেলাজিক অ্যাপোজিশন || ১৫০ || ৯০ || ১০০ || ৯০ || ৫,০৯২ c || ৫২
|-
| Oplophorus || চিংড়ি || মেসোপেলাজিক সুপারপজিশন || ৬০০ || ২০০ b || ২২৬ || ২০০ b || ৩,৩০০ c || ৮.১
|-
| Dinopis || মাকড়সা || নিশাচর ক্যামেরা e || ১,৩২৫ || ৫৫ || ৭৭১ || ৫৫ || ১০১ || ১.৫
|-
| Deilephila || হক মথ || নিশাচর সুপারপজিশন || ৯৩৭ d || ৪১৪ b || ৬৭৫ || ৪১৪ b || ৬৯ || ০.৯
|-
| Onitis aygulus || গো-মাছা || নিশাচর সুপারপজিশন || ৮৪৫ || ৮৬ || ৫০৩ || ৮৬ || ৫৮.৯ || ৩.৩
|-
| Ephestia || মথ || নিশাচর সুপারপজিশন || ৩৪০ || ১১০ b || ১৭০ || ১১০ b || ৩৮.৪ || ২.৭
|-
| Macroglossum || হক মথ || দিবাচর সুপারপজিশন || ৫৮১ d || ৩৬২ b || ৪০৯ || ৩৬২ b || ৩৭.৯ || ১.১
|-
| Octopus || অক্টোপাস || এপিপেলাজিক ক্যামেরা || ৮,০০০ || ২০০ || ১০,০০০ || ২০০ || ৪.২ c || ০.০২
|-
| Pecten || স্ক্যালপ || উপকূলীয় অবতল দর্পণ || ৪৫০ || ১৫ || ২৭০ || ১৫ || ৪ || ১.৬
|-
| Megalopta || সুইট মৌমাছি || নিশাচর অ্যাপোজিশন || ৩৬ || ৩৫০ || ৯৭ || ৩৫০ || ২.৭ || ৪.৭
|-
| Bufo || টোড || নিশাচর ক্যামেরা || ৫,৫৫০ || ৫৪ || ৪,৭১৪ || ৫৪ || ২.৪১ || ০.০৩
|-
| Architeuthis || স্কুইড || নিম্ন-মেসোপেলাজিক ক্যামেরা || ৯০,০০০ || ৬৭৭ || ১১২,৫০০ a || ৬৭৭ || ২.৩ c || ০.০০২
|-
| Onitis belial || গো-মাছা || দিবাচর সুপারপজিশন || ৩০৯ || ৩২ || ৩৩৮ || ৩২ || ১.৯ || ১.১
|-
| Planaria || ফ্ল্যাটওয়ার্ম || রঞ্জক কাপ || ৩০ || ৬ || ২৫ || ৬ || ১.৫ || ২২.৯
|-
| Homo || মানব || দিবাচর ক্যামেরা || ৮,০০০ || ৩০ || ১৬,৭০০ || ৩০ || ০.৯৩ || ০.০১
|-
| Littorina || সামুদ্রিক শামুক || উপকূলীয় ক্যামেরা || ১০৮ || ২০ || ১২৬ || ২০ || ০.৪ || ১.৮
|-
| Vanadis || সামুদ্রিক কৃমি || উপকূলীয় ক্যামেরা || ২৫০ || ৮০ || ১,০০০ || ৮০ || ০.২৬ || ০.৩
|-
| Apis || মৌমাছি || দিবাচর অ্যাপোজিশন || ২০ || ৩২০ || ৬৬ || ৩২০ || ০.১ || ১.৭
|-
| Phidippus || মাকড়সা || দিবাচর ক্যামেরা f || ৩৮০ || ২৩ || ৭৬৭ || ২৩ || ০.০৩৮ || ০.২
|-
|+ S = সংবেদনশীলতা, Δρ = ফোটোরিসেপ্টর গ্রহণ কোণ (উল্লেখিত সমীকরণ থেকে), A = অ্যাপারচারের ব্যাস; d ও l = ফোটোরিসেপ্টরের ব্যাস ও দৈর্ঘ্য; f = ফোকাল দৈর্ঘ্য। উৎস: *ভিজ্যুয়াল ইকোলজি* (২০১৪)
|}
== নোটসমূহ ==
S-এর একক হলো μm<sup>2</sup> sr। Δρ নিচের সমীকরণ ব্যবহার করে নিরূপণ করা হয়েছে এবং এর একক ডিগ্রি। চোখের ধরনগুলোর সম্পূর্ণ বর্ণনার জন্য অধ্যায় ৫ দেখুন।
* a: ফোকাল দৈর্ঘ্য গণনা করা হয়েছে ম্যাথিয়েসেন অনুপাত ব্যবহার করে: f = 1.25 A
* b: র্যাবডম দৈর্ঘ্য দ্বিগুণ ধরা হয়েছে কারণ সেখানে একটি ট্যাপেটাম বিদ্যমান।
* c: S গণনা করা হয়েছে k = 0.0067 μm<sup>–1</sup> দিয়ে, মনোক্রোম্যাটিক আলোর জন্য প্রযোজ্য সমীকরণ ব্যবহার করে। অন্যান্য সকল মান ব্রড-স্পেকট্রাম আলোর জন্য ব্যবহৃত সমীকরণ দিয়ে নিরূপণ করা হয়েছে।
* d: মান নেওয়া হয়েছে সম্মুখ চোখ থেকে।
* e: পশ্চাৎ-মধ্য (PM) চোখ।
* f: অগ্র-পার্শ্ব (AL) চোখ।
উৎস: *ভিজ্যুয়াল ইকোলজি*, ২০১৪।
== রেজোলিউশন সীমাবদ্ধকারী উপাদানসমূহ ==
ফোটোরিসেপ্টরের রিসেপ্টিভ ফিল্ডের আকার আনুমানিকভাবে নির্ণয় করা যায় নিচের সমীকরণ দিয়ে:<ref name = "ve2014"/>
<math> \Delta \rho = \frac{d}{f} </math>
এখানে d হলো ফোটোরিসেপ্টরের ব্যাস এবং f হলো ফোকাল দৈর্ঘ্য। এই সমীকরণ থেকে বোঝা যায়, বড় চোখে ভালো রেজোলিউশন পাওয়া সম্ভব, কারণ এর ফোকাল দৈর্ঘ্য বেশি হলেও ফোটোরিসেপ্টরের আকার একই থাকে। মূলত, রেটিনায় যত বেশি ফোটোরিসেপ্টর সংযুক্ত করা যায়, রেজোলিউশন তত উন্নত হয়। শিকারি পাখিদের দৃষ্টিশক্তি মানুষের চেয়ে অনেক বেশি সূক্ষ্ম। উদাহরণস্বরূপ, ঈগলের চোখ মানুষের চোখের মতোই বড়, অর্থাৎ শরীরের তুলনায় অনেক বড়, এবং তাতে ফোটোরিসেপ্টরের ঘনত্বও অনেক বেশি।
তবে আরও কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। ফটোগ্রাফির মতো, চোখের লেন্সেও বিভিন্ন ধরনের ত্রুটি দেখা যায়।
'''[https://en.wikipedia.org/wiki/Diffraction বিচ্ছুরণ]''' চিত্রকে ঝাপসা করে তোলে। একটি বিন্দুযুক্ত আলোর উৎস (যেমন, রাতের আকাশের একটি তারা) একটি বৃহৎ বিন্দু হিসেবে দেখা যায়, যার চারপাশে ক্ষীণ বৃত্ত থাকে। এই চিত্রকে *Airy Disk* বলা হয়। এই ঝাপসা দৃষ্টি তখন ঘটে যখন আলোর উৎস থেকে আসা আলো একাধিক ফোটোরিসেপ্টরে পড়ে।<ref name="birdybird"> {{citation | author=Jones et al. | title= Avian Vision: A Review of Form and Function with Special Consideration to Birds of Prey| journal=Journal of Exotic Pet Medicine| year=2007}} </ref>
[[File:Airy-pattern.svg|thumb|কম্পিউটারে তৈরি একটি এয়ারি ডিস্কের চিত্র। বাইরের বলয়ের উজ্জ্বলতা বাড়ানোর জন্য গ্রেস্কেল ইনটেনসিটি সমন্বয় করা হয়েছে।]]
'''[https://en.wikipedia.org/wiki/Chromatic_aberration বর্ণবিচ্ছিন্ন ত্রুটি]''' প্রতিসরণ সূচক *n* হলো তরঙ্গদৈর্ঘ্যের একটি ফাংশন। এর মানে হলো, একটি লেন্স সব তরঙ্গদৈর্ঘ্যের আলোকে একই বিন্দুতে কেন্দ্রীভূত করতে পারে না। কিছু মাকড়সা এই বৈশিষ্ট্যকে গভীরতা অনুধাবনের জন্য ব্যবহার করতে অভিযোজিত হয়েছে। জাম্পিং স্পাইডারের রেটিনায় চারটি স্তর থাকে, যেগুলোর প্রতিটিতে ভিন্ন তরঙ্গদৈর্ঘ্যের আলো ফোকাস হয়। নাগাতা প্রমুখ গবেষণায় দেখতে পান যে সবুজ ফোটোরিসেপ্টর সবচেয়ে গভীর এবং দ্বিতীয় গভীর স্তর উভয়তেই উপস্থিত, যদিও সবুজ আলো সবচেয়ে গভীর স্তরে ফোকাস হয়। এর ফলে, দ্বিতীয় গভীর স্তরে সবুজ চিত্র সর্বদা অস্পষ্ট থাকে। এই স্তরগুলোর মধ্যে মিল না থাকাকে কাজে লাগিয়ে জাম্পিং স্পাইডার গভীরতা উপলব্ধি করতে সক্ষম হয়।<ref> {{citation| author = Nagata | title=Depth perception from image defocus in a jumping spider.|year=2012|journal=Science}} </ref>
কিছু মাছ এই বর্ণবিচ্ছিন্ন ত্রুটিকে কাটিয়ে উঠতে বহুফোকাল লেন্সের অভিযোজন ঘটিয়েছে।<ref>{{citation | author=Kröger et al. |title=Multifocal lenses compensate for chromatic defocus in vertebrate eyes.|year=1999|Journal of Computational Physiology}}</ref>
'''[https://en.wikipedia.org/wiki/Spherical_aberration গোলীয় ত্রুটি]''' বাস্তব লেন্সগুলো সমান্তরাল আলোকে একটি বিন্দুতে ফোকাস করতে পারে না, ফলে গোলীয় ত্রুটি নামে একটি সমস্যা দেখা দেয়। এই সমস্যাকে মোকাবিলা করতে যেসব অভিযোজন ঘটেছে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে অ-গোলীয় লেন্স (যদিও এতে অন্য সমস্যা সৃষ্টি হয়) এবং ধাপে পরিবর্তিত প্রতিসরণ সূচকযুক্ত লেন্স।
আরও একটি সমস্যা আছে যেটা এখানে আলোচনা করা হয়নি, তা হলো ফোটোরিসেপ্টরগুলোর মধ্যে অপটিকাল ক্রস টক।
== তথ্যসূত্র ==
{{সূত্র তালিকা}}
{{BookCat}}
9u4tb9hxm0qvnedy04wmpehv3s2fjfq
84646
84645
2025-06-17T07:27:32Z
SMontaha32
11242
/* রেজোলিউশন সীমাবদ্ধকারী উপাদানসমূহ */
84646
wikitext
text/x-wiki
==দৈহিক প্রজাতি ভিত্তিক ভিজ্যুয়াল সিস্টেমের তুলনা==
এই অধ্যায়ে আমরা সংক্ষেপে তিন ধরনের মৌলিক ফটোরিসেপ্টর কোষ সম্পর্কে আলোচনা করব। এরপর আমরা পশুদের ভিজ্যুয়াল সিস্টেমের ভিজ্যুয়াল ইকোলজি অন্বেষণ শুরু করব: কীভাবে এগুলো বিভিন্ন স্পেকট্রাম ও আলোতীব্রতার সাথে খাপ খায়। এটি সংবেদনশীলতা এবং রেজোলিউশনের মধ্যে একটি ট্রেডঅফের দিকে নিয়ে যায়, কারণ উভয়ই পশুর প্রাপ্য সম্পদের জন্য প্রতিযোগিতা করে। যদি আলাদা করে উল্লেখ না করা হয়, এই অধ্যায়ের তথ্যসমূহ প্রখ্যাত বই ''ভিজ্যুয়াল ইকোলজি'' থেকে নেওয়া। <ref name=ve2014> {{Citation | author= Thomas W. Cronin, Sönke Johnsen, N. Justin Marshall, Eric J. Warrant| title= Visual Ecology | year = 2014 | publisher=Princeton University Press |ref=ve2014}} </ref>
===ফটোরিসেপ্টরের মৌলিক শ্রেণিসমূহ===
প্রাণী রাজ্যে ফটোরিসেপ্টর কোষের বিশাল বৈচিত্র্য বিদ্যমান। পার্থক্য থাকলেও এরা সকলেই একই মূল নীতিতে কাজ করে: যেহেতু ভিজ্যুয়াল পিগমেন্ট — যেগুলো ফোটন সনাক্ত করার জন্য দায়ী — শুধুমাত্র কোষের ঝিল্লিতে অবস্থান করতে পারে, তাই সব ফটোরিসেপ্টর যথেষ্ট ফোটন ধারণের জন্য ঝিল্লির স্তর তৈরি করে।
ফটোরিসেপ্টর কোষের দুইটি মৌলিক শ্রেণি রয়েছে। কশেরুকী প্রাণীদের (স্তন্যপায়ী, মাছ, পাখি, সরীসৃপ ইত্যাদি) ভিজ্যুয়াল রিসেপ্টর সিলিয়ারি এপিথেলিয়াল কোষ থেকে উদ্ভূত, তাই এগুলোকে "সিলিয়ারি রিসেপ্টর" বলা হয়। এগুলো আরও রড এবং কোণ হিসাবে বিভক্ত, অধিকাংশ কশেরুকী প্রাণীর দুটোই থাকে। সিলিয়ারি রিসেপ্টররা তাদের ঝিল্লিকে বাহ্যিক অংশে স্তূপাকৃত করে (ছবি দেখুন)।
অর্থ্রোপোড (পোকা, ক্রাস্টেসিয়ান ইত্যাদি) ও মোলাস্ক (স্ক্যালপ, অক্টোপাস ইত্যাদি) অজস্র ছোট, সিলিন্ডারাকৃত মাইক্রোভিলি রয়েছে, যেগুলোতে ভিজ্যুয়াল পিগমেন্ট থাকে। এই সিলিন্ডারগুলো কোষদেহ থেকে বেরিয়ে দাঁতের ব্রাশের ব্রিস্টলসের মতো। এই রিসেপ্টর কোষগুলোকে রাবডোম বলা হয়। খুব কিছু প্রাণী যেমন স্ক্যালপ উভয় সিলিয়ারি ও রাবডোমেরিক ফটোরিসেপ্টর ব্যবহার করে।
{|style="background:transparent; color:black" border="0" height="230" align="center" valign="bottom" cellpadding=10px cellspacing=0px
|+style="background:transparent; color:black"|''''' রিসেপ্টর কোষসমূহ '''''
|-align="center"
|
| [[File:Rod Cell.svg|thumb|রড কোষ: নিচ থেকে আলো আসছে]]
|
| [[File:Cone cell eng.png|thumb|কোন কোষ: নিচ থেকে আলো আসছে]]
|
|-align="center" valign="top"
|}
===স্পেকট্রামের বিভিন্ন অংশে সংবেদনশীলতা===
সকল প্রাণীর মধ্যে দৃষ্টি শুরু হয় আলোকে ফটোকেমিক্যালভাবে সনাক্ত করার মাধ্যমে। ফটোপিগমেন্ট হলো এমন অণু যেগুলো একটি ফোটন ধরার সময় পরিবর্তিত হয় (এই প্রক্রিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত [[Sensory_Systems/Visual_System#Creation_of_the_initial_signals_-_Photosensor_Function|এখানে]] পাওয়া যাবে)। ভিজ্যুয়াল সিস্টেমে ব্যবহৃত ফটোপিগমেন্টগুলোকে ভিজ্যুয়াল পিগমেন্ট বলা হয়। বিভিন্ন ধরনের ভিজ্যুয়াল পিগমেন্ট রয়েছে এবং এদের বিভিন্ন শোষণ স্পেকট্রাম থাকে অর্থাৎ তারা আলোর বিভিন্ন রং সনাক্ত করতে পারে। রঙিন দর্শনসম্পন্ন প্রাণীদের একাধিক ভিজ্যুয়াল পিগমেন্ট প্রয়োজন বিভিন্ন স্পেকট্রাল সংবেদনশীলতার জন্য। তবে অধিকাংশ প্রাণীর এক ধরনের ভিজ্যুয়াল পিগমেন্টই অধিক মাত্রায় প্রকাশ পায়। এর একটি যুক্তিযুক্ত ব্যাখ্যা হলো সংবেদনশীলতা হাইপোথিসিস। এর একটি সম্ভাব্য বিবৃতি হতে পারে:
{{quote|
|text = "একটি নির্দিষ্ট প্রজাতির রড ভিজ্যুয়াল পিগমেন্ট প্রাকৃতিক পরিবেশে ফোটন গ্রহনের সর্বোচ্চ মাত্রা অর্জনের জন্য স্পেকট্রালভাবে স্থাপন করা হয়"
|sign= Cronin et al.
|source = Visual Ecology
}}
রডগুলো কম আলোতে দেখার জন্য দায়ী যেখানে উপলব্ধ আলো খুবই দুর্বল এবং উপলব্ধ আলোর প্রতি সংবেদনশীল থাকা জরুরি। এই হাইপোথিসিস গভীর সমুদ্রের প্রাণীদের ওপর গবেষণার সময় তৈরি হয়েছিল এবং সেখানে এটি ভালোমতো প্রযোজ্য। অন্য সকল আবাসস্থলের জন্য এটি কিছুটা সমস্যাযুক্ত।
====গভীর সমুদ্রে স্পেকট্রাল অভিযোজন====
[[File:Spectra at various daytimes.png|thumb|এই গ্রাফে দেখানো হয়েছে কিভাবে স্থলভিত্তিক আবাসস্থলে সময়ের সাথে স্পেকট্রাম পরিবর্তিত হতে পারে।]]
ডেন্টন এবং ওয়ারেনের পাশাপাশি ১৯৫৭ সালে মঞ্জের প্রাথমিক গবেষণায় দেখা গেছে গভীর সমুদ্রের প্রাণীদের ভিজ্যুয়াল পিগমেন্টের সর্বোচ্চ শোষণ ব্লু অংশে হয়। সাম্প্রতিক একটি গভীর সমুদ্র মাছের গবেষণায় রিপোর্ট করা হয়েছে সর্বোচ্চ শোষণ প্রায় ৪৮০ nm এর কাছাকাছি কেন্দ্রিত।<ref> {{Citation|author=Douglas et al. | year=2003 | title=Sensory Processing in Aquatic Environments | chapter=Spectral Sensitivity Tuning in the Deep-Sea }} </ref> এটি গভীর সমুদ্রের স্পেকট্রামের সাথে মিলে যায় যেখানে অনেক মিটার জল অন্য সকল তরঙ্গদৈর্ঘ্যকে ফিল্টার করে ফেলে। কেন গভীর সমুদ্রের চিংড়িগুলো প্রায় ৫০০ nm তরঙ্গদৈর্ঘ্যে সর্বোচ্চ শোষণ করে তা এখনও বোঝা যায়নি। <ref>{{Citation|author=Marshall et al. | year=2003 | title=Sensory Processing in Aquatic Environments | chapter=The design of color signals and color vision in fishes }} </ref>
মেরিন স্তন্যপায়ীরা স্থলভিত্তিক স্তন্যপায়ীদের তুলনায় অনেক বিস্তৃত তরঙ্গদৈর্ঘ্যের সর্বোচ্চ শোষণ দেখায়। যেখানে স্থলভিত্তিক স্তন্যপায়ীদের রড পিগমেন্ট প্রায় ৫০০ nm তরঙ্গদৈর্ঘ্যে সর্বোচ্চ শোষণ করে, সেখানে মেরিন স্তন্যপায়ীদের শোষণ ৪৮০ থেকে ৫০৫ nm এর মধ্যে পরিবর্তিত হয়। গভীরে খাদ্য সংগ্রহকারী প্রাণীদের ভিজ্যুয়াল পিগমেন্ট ব্লু রংয়ের দিকে সরানো থাকে (λ<sub>max</sub> ≤ ৪৯০ nm) এবং উপকূলীয় অঞ্চলে বসবাসকারী স্তন্যপায়ীদের λ<sub>max</sub> মান স্থলভিত্তিক প্রাণীদের কাছাকাছি থাকে।<ref>{{Citation|author=Fasick JI, Robinson PR. | year=2000 | title= Spectral-tuning mechanisms of marine mammal rhodopsins and correlations with foraging depth.}} </ref>
====বিভিন্ন আবাসস্থলের স্পেকট্রা====
{{multiple image
| header = পানির নিচের আবাসস্থলে রং
| direction = vertical
| width = 250
| footer = ১০ মিটার গভীরতার উপরে নেওয়া একটি প্রবাল প্রাচীরের ছবি। সংশোধিত ছবিটি দেখায় প্রবাল প্রাচীরটি ব্রড ডে-লাইটে কেমন দেখাতে পারে।
| image1 = Korallenriff ungefiltert.jpg
| alt1 = প্রবাল প্রাচীরের মূল ছবি (ঠান্ডা রং)
| caption1 = সংশোধনহীন ছবি, যেখানে রংয়ের তাপমাত্রা প্রায় ৬০০০ K
| image2 = Korallenriff.jpg
| alt2 = সংশোধিত প্রবাল প্রাচীরের ছবি (গরম রং)
| caption2 = সংশোধিত ছবি, যেখানে রংয়ের তাপমাত্রা প্রায় ৪২০০ K
}}
আবাসস্থলগুলো খুবই স্বতন্ত্র স্পেকট্রাম ধারণ করে। আলোর তীব্রতা ও স্পেকট্রাম গঠন পৃথিবীর ওপর প্রবেশের কোণের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হয়। বায়ুমণ্ডলের পাশাপাশি পানি ও গাছপালা প্রাকৃতিক ফিল্টার হিসেবে কাজ করে। জলের মধ্যে লাল রং দ্রুত ফিল্টার হয়ে যায় এবং নীল রং গভীরতর পৌঁছায়।<ref> {{citation | title= Underwater light field and spectral distribution of attenuation depth in inland and coastal waters| author= Tuuli Kauer, Helgi Arst, Lea Tuvikene | year=2010 | journal = Oceanologia}}</ref>
একই ধরনের প্রভাব দেখা যায় বনজঙ্গলের গাছপালায় যেখানে সবুজ উদ্ভিদ আলো ফিল্টার করে। পাতার মধ্যে দিয়ে যাওয়ার সময় সবুজ ছাড়া অন্য রংয়ের অংশগুলো প্রথমে ফিল্টার হয়ে যায় এবং উপরের অংশে (২৩ থেকে ১১ মিটার) সবুজ আলোই প্রধান থাকে। নিচে এক ধরনের দুর্বল আলো থাকে, যা প্রধানত মানুষের চোখে অদৃশ্য নিকট-ইনফ্রারেড রশ্মি দ্বারা দখল করা থাকে।<ref> {{citation | author = De Castro, Francisco | year = 1999 | title = Light spectral composition in a tropical forest: measurements and model | journal = tree physiology}} </ref>
====সংবেদনশীলতা অনুমান সম্পর্কিত সমস্যা====
গভীর সাগরের বাইরে অন্য যে কোনো আবাসস্থলের জন্য সংবেদনশীলতা অনুমান যথেষ্ট নয়। পরিষ্কার পানির উপরের অংশের পরিবেশের স্পেকট্রাম অনুযায়ী ভিজ্যুয়াল পিগমেন্টের সর্বোচ্চ শোষণ তরঙ্গদৈর্ঘ্য বেশি হওয়া উচিত, কিন্তু বাস্তবে এমন হয় না। কোনও সরিসৃপ এর রডের সর্বোচ্চ শোষণ ৫২৫ nm এর বেশি তরঙ্গদৈর্ঘ্যে দেখা যায় না, যদিও উচ্চ তরঙ্গদৈর্ঘ্যের আলো তীব্রতা ক্রমাগত বৃদ্ধি পায়। অধিকাংশ রডের শোষণ প্রায় ৫০০ nm বা তার কমে শিখরযুক্ত। এমনকি রাতের বেলায় সক্রিয় কিছু কীটপতঙ্গেরও শোষণ শিখর ৫৪৫ nm এর বেশি নয়।
একটি সম্ভাব্য কারণ হলো, উচ্চ তরঙ্গদৈর্ঘ্যের আলো সনাক্ত করার জন্য ব্যবহৃত ভিজ্যুয়াল পিগমেন্টগুলো কম নির্ভরযোগ্য কারণ তাদের কম তাপীয় সক্রিয়তার সীমা। ফলে, এগুলো তাপীয় শব্দে বেশি সংবেদনশীল। তাপীয় শব্দ ভিজ্যুয়াল সিস্টেমের সীমাবদ্ধতা হিসেবে কাজ করতে পারে — এই ধারণা ঠাণ্ডা রক্তবিশিষ্ট জলজ উভচর প্রাণীদের উপর করা পরীক্ষা দ্বারা সমর্থিত। ব্যাঙ ও তোয়াদ মানুষের তুলনায় কম আলোতে অধিক কার্যকর এবং তাপমাত্রা বৃদ্ধির সঙ্গে তাদের কার্যকারিতা কমে, যা প্রাণীর সর্বনিম্ন পর্যবেক্ষণযোগ্য তীব্রতা ও রেটিনার তাপীয় আইসোমারাইজেশন রেট (অর্থাৎ কতবার ভিজ্যুয়াল পিগমেন্ট তাপীয় আন্দোলনের কারণে ট্রিগার হয়, আলো থেকে নয়) এর মধ্যে একটি একরৈখিক সম্পর্ক নির্দেশ করে। <ref> {{citation | author =Aho et al. | title = Low retinal noise in animals with low body temperature allows high visual sensitivity | journal = Nature | year = 1988}} </ref>
===সত্যিকারের চোখের মৌলিক নকশা মূলনীতি===
একটি চোখকে "সত্যিকারের চোখ" ধরা হয় যদি এটি স্থানীয় দৃষ্টিশক্তি সক্ষম হয়, অর্থাৎ এটি কিছু রকমের স্থানীয় রেজোলিউশন এবং চিত্রায়ন করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, একটি চোখ স্পট — যা একটি সরল ফোটোরিসেপ্টর প্যাচ — তা সত্যিকারের চোখ নয় কারণ এটি শুধুমাত্র আলো উপস্থিতি সনাক্ত করতে পারে, তবে এর উৎস সঠিকভাবে নির্ণয় করতে পারে না, কেবলমাত্র একটি আনুমানিক দিক নির্দেশ করতে পারে। এই ধরনের চোখগুলোরও ব্যবহার আছে: একটি মাটির নিচে থাকা প্রাণী যখন পৃথিবীর পৃষ্ঠে উঠে আসে তা সনাক্ত করতে পারে, অথবা একজন প্রাণী জানতেপারে সে ছায়ার মধ্যে ঢুকেছে বা বের হয়েছে, কিংবা এটি বিপজ্জনক মাত্রার অতিবেগুনি রশ্মি সনাক্ত করার জন্য ব্যবহার করতে পারে।<ref> {{citation | author=Nilsson, DE | title=Eye evolution and its functional basis |year=2013 | journal=Visual Neuroscience}} </ref>
পরবর্তী আলোচনায় আমরা সত্যিকারের চোখ নিয়ে কাজ করব। সব সত্যিকারের চোখের রেটিনায় ফোটোরিসেপ্টর নির্দিষ্ট অবস্থানে থাকে এবং তারা আশপাশের পৃথিবীর একটি সুনির্দিষ্ট অংশ থেকে আলো গ্রহণ করে। এর মানে প্রতিটি ফোটোরিসেপ্টর একটি পিক্সেলের মতো কাজ করে। ফোটোরিসেপ্টর যে স্থান থেকে আলো গ্রহণ করে তা সীমাবদ্ধ করতে, সব সত্যিকারের চোখে একটি অ্যাপারচার বা পিউপিল থাকে।
একটি প্রাণীর চোখের আকার তার জৈবিক শক্তি চাহিদার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় — বড় চোখের যত্ন-নিয়ন্ত্রণে বেশি খরচ হয়। নির্দিষ্ট আকারের চোখে রেজোলিউশন এবং সংবেদনশীলতার মধ্যে অবশ্যম্ভাবীভাবে একটি সমঝোতা থাকে। উচ্চ রেজোলিউশন ভিশনের জন্য ছোট এবং ঘন পিক্সেল/ফোটোরিসেপ্টর দরকার, যেগুলো কম আলোর তীব্রতায় বেশি শব্দ সংবেদনশীল হয়। এজন্য একটি রাত্রিকালীন প্রাণী হয়তো এমন পিক্সেল বিকশিত করবে যা তুলনামূলক বড় আকারের এবং বেশি আলো ধরে, যদিও এর ফলে রেজোলিউশন কমে যায়।
====সংবেদনশীলতাকে সীমাবদ্ধকারী শব্দের ধরণগুলি====
বহিরাগত এবং অভ্যন্তরীণ শব্দের বিভিন্ন ধরণ রয়েছে।
'''[https://en.wikipedia.org/wiki/Shot_noise শট নয়েজ]''' আলোর কণার প্রকৃতির কারণে, একটি ফোটোরিসেপ্টরে পৌঁছানো ফোটনের সংখ্যা একটি পোয়াসঁ প্রক্রিয়া হিসেবে বর্ণনা করা যায়, যার সংকেত থেকে শব্দ অনুপাত (SNR) হয়:
<math>\mathrm{SNR} = \frac{N}{\sqrt{N}} = {\sqrt {N}}. , </math>
এখানে N হল গড় ইনসিডেন্ট ফোটনের সংখ্যা এবং <math> \sqrt{N} </math> হল স্ট্যান্ডার্ড ডিভিয়েশন। মানুষের চোখ মাত্র ৫ থেকে ১৫ ফোটনও অনুভব করতে সক্ষম<ref> {{citation | author =Pirenne, M.H. | title= Vision and the Eye | year=1948 | publisher = Chapman and Hall, Ltd.}} </ref>, কিন্তু আলো উৎসের অস্তিত্ব ছাড়া অন্য কোনো বৈশিষ্ট্য দেখা সম্ভব নয়। ডি ভ্রিস-রোজ স্কয়ার আইন বর্ণনা করে কিভাবে কনট্রাস্ট SNR এর সাথে বাড়ে। <ref> {{citation| author = Rose, A. | title=The Sensitivity Performance of the Human Eye on an Absolute Scale | journal = Journal of the Optical Society of America| year=1948}} </ref> এর অর্থ, সবচেয়ে ন্যূনতম কনট্রাস্ট যা অনুভব করা যায় তা শট নয়েজ দ্বারা নির্ধারিত।
'''ট্রান্সডিউসার নয়েজ'''
ফোটোরিসেপ্টর প্রতিটি শোষিত ফোটনের জন্য সমান বৈদ্যুতিক সংকেত দিতে অক্ষম।<ref> {{citation | author= P. G. Lillywhite & S. B. Laughlin | title= Transducer noise in a photoreceptor | year =1980 | journal = Nature}} </ref>
'''অন্ধকার বা তাপীয় শব্দ'''
আগেই আলোচনা করা হয়েছে, শব্দের আরেকটি উৎস হল ফোটনের সংকেত প্রক্রিয়াকরণে সংশ্লিষ্ট বায়োরাসায়নিক পথের তাপীয় এলোমেলো সক্রিয়তা। বেইলর এবং তার সহকর্মীরা অন্ধকার শব্দের দুটি উপাদান শনাক্ত করেন: একটি ক্ষুদ্র ধারাবাহিক ওঠানামা এবং ফোটনের আগমনের সঙ্গে অনির্দেশ্যভাবে মিল রেখে ঘটে যাওয়া ঘটনাসদৃশ স্পাইক, যা একটি ভিজ্যুয়াল পিগমেন্টের তাপীয় সক্রিয়তার কারণে ঘটে থাকে।<ref> {{citation | author= Baylor et al | title= Two components of electrical dark noise in toad retinal rod outer segments | year =1979 | journal = Journal of Physiology}} </ref>
====সংবেদনশীলতার সূত্র====
একটি চোখের অপটিক্যাল সংবেদনশীলতা (S) নিরূপণ করতে তিনটি উপাদানকে গুণ করতে হয়: পিউপিলের ক্ষেত্রফল, ফোটোরিসেপ্টরের দেখা কঠিন কোণ এবং শোষিত আলোর ভগ্নাংশ।<ref name="warrant1998"> {{ citation | author =Warrant EJ, Nilsson DE | title=Absorption of white light in photoreceptors |year=1998|journal=Vision Research}} </ref>
<math> S = \frac{\pi}{4} A^2 \cdot \frac{\pi}{4} \frac{d^2}{f^2} \cdot \frac{kl}{2.3+kl} \quad \text{(বিস্তৃত তরঙ্গদৈর্ঘ্যের জন্য)}</math>
এখানে A হল অ্যাপারচারের ব্যাস, f হল চোখের ফোকাল দৈর্ঘ্য, এবং d, l ও k যথাক্রমে ফোটোরিসেপ্টরের ব্যাস, দৈর্ঘ্য ও শোষণ সহগ। উপরোক্ত সমীকরণে শোষিত আলোর ভগ্নাংশ দিনের আলোর (ব্রড-স্পেকট্রাম) জন্য হিসাব করা হয়েছে। গভীর সমুদ্রে আলো প্রধানত ৪৮০ nm তরঙ্গদৈর্ঘ্যের মনোক্রোম্যাটিক নীল আলো, তাই সেখানে ভগ্নাংশের পরিবর্তে সরাসরি absorptance ব্যবহার করা যায়।<ref name="warrant1998" />
<math> S = \frac{\pi}{4} A^2 \cdot \frac{\pi}{4} \frac{d^2}{f^2} \cdot (1-e^{-kl}) \quad \text{(মনোক্রোম্যাটিক)}</math>
শোষণ সহগ k নির্দেশ করে, প্রতি একক দৈর্ঘ্যে একটি ফোটোরিসেপ্টর কতটুকু আলো শোষণ করে। ওয়ারেন্ট এবং নিলসন (1998) বিভিন্ন প্রাণীর জন্য k এর মান দিয়েছেন, যেমন: গৃহমাছির জন্য 0.005 μm⁻¹, গভীর সমুদ্রের মাছের জন্য 0.064 μm⁻¹, আর মানুষের রড কোষের জন্য 0.028 μm⁻¹। আশ্চর্যের বিষয়, তিনি লক্ষ্য করেন যে, একই আলোর তীব্রতায় বসবাসকারী অমেরুদণ্ডী প্রাণীদের তুলনায় মেরুদণ্ডী প্রাণীদের k এর মান প্রায় পাঁচগুণ বেশি।
{| class="wikitable" style="margin: 1em auto 1em auto;"
|+ '''অন্ধকারে অভিযোজিত চোখের অপটিক্যাল সংবেদনশীলতা ও ফোটোরিসেপ্টর গ্রহণ কোণ'''
|-
! প্রজাতি !! প্রাণী !! চোখের ধরন !! A (μm) !! d (μm) !! f (μm) !! l (μm) !! S (μm<sup>2</sup> sr) !! Δρ (°)
|-
| Cirolana || আইসোপড || নিম্ন-মেসোপেলাজিক অ্যাপোজিশন || ১৫০ || ৯০ || ১০০ || ৯০ || ৫,০৯২ c || ৫২
|-
| Oplophorus || চিংড়ি || মেসোপেলাজিক সুপারপজিশন || ৬০০ || ২০০ b || ২২৬ || ২০০ b || ৩,৩০০ c || ৮.১
|-
| Dinopis || মাকড়সা || নিশাচর ক্যামেরা e || ১,৩২৫ || ৫৫ || ৭৭১ || ৫৫ || ১০১ || ১.৫
|-
| Deilephila || হক মথ || নিশাচর সুপারপজিশন || ৯৩৭ d || ৪১৪ b || ৬৭৫ || ৪১৪ b || ৬৯ || ০.৯
|-
| Onitis aygulus || গো-মাছা || নিশাচর সুপারপজিশন || ৮৪৫ || ৮৬ || ৫০৩ || ৮৬ || ৫৮.৯ || ৩.৩
|-
| Ephestia || মথ || নিশাচর সুপারপজিশন || ৩৪০ || ১১০ b || ১৭০ || ১১০ b || ৩৮.৪ || ২.৭
|-
| Macroglossum || হক মথ || দিবাচর সুপারপজিশন || ৫৮১ d || ৩৬২ b || ৪০৯ || ৩৬২ b || ৩৭.৯ || ১.১
|-
| Octopus || অক্টোপাস || এপিপেলাজিক ক্যামেরা || ৮,০০০ || ২০০ || ১০,০০০ || ২০০ || ৪.২ c || ০.০২
|-
| Pecten || স্ক্যালপ || উপকূলীয় অবতল দর্পণ || ৪৫০ || ১৫ || ২৭০ || ১৫ || ৪ || ১.৬
|-
| Megalopta || সুইট মৌমাছি || নিশাচর অ্যাপোজিশন || ৩৬ || ৩৫০ || ৯৭ || ৩৫০ || ২.৭ || ৪.৭
|-
| Bufo || টোড || নিশাচর ক্যামেরা || ৫,৫৫০ || ৫৪ || ৪,৭১৪ || ৫৪ || ২.৪১ || ০.০৩
|-
| Architeuthis || স্কুইড || নিম্ন-মেসোপেলাজিক ক্যামেরা || ৯০,০০০ || ৬৭৭ || ১১২,৫০০ a || ৬৭৭ || ২.৩ c || ০.০০২
|-
| Onitis belial || গো-মাছা || দিবাচর সুপারপজিশন || ৩০৯ || ৩২ || ৩৩৮ || ৩২ || ১.৯ || ১.১
|-
| Planaria || ফ্ল্যাটওয়ার্ম || রঞ্জক কাপ || ৩০ || ৬ || ২৫ || ৬ || ১.৫ || ২২.৯
|-
| Homo || মানব || দিবাচর ক্যামেরা || ৮,০০০ || ৩০ || ১৬,৭০০ || ৩০ || ০.৯৩ || ০.০১
|-
| Littorina || সামুদ্রিক শামুক || উপকূলীয় ক্যামেরা || ১০৮ || ২০ || ১২৬ || ২০ || ০.৪ || ১.৮
|-
| Vanadis || সামুদ্রিক কৃমি || উপকূলীয় ক্যামেরা || ২৫০ || ৮০ || ১,০০০ || ৮০ || ০.২৬ || ০.৩
|-
| Apis || মৌমাছি || দিবাচর অ্যাপোজিশন || ২০ || ৩২০ || ৬৬ || ৩২০ || ০.১ || ১.৭
|-
| Phidippus || মাকড়সা || দিবাচর ক্যামেরা f || ৩৮০ || ২৩ || ৭৬৭ || ২৩ || ০.০৩৮ || ০.২
|-
|+ S = সংবেদনশীলতা, Δρ = ফোটোরিসেপ্টর গ্রহণ কোণ (উল্লেখিত সমীকরণ থেকে), A = অ্যাপারচারের ব্যাস; d ও l = ফোটোরিসেপ্টরের ব্যাস ও দৈর্ঘ্য; f = ফোকাল দৈর্ঘ্য। উৎস: *ভিজ্যুয়াল ইকোলজি* (২০১৪)
|}
== নোটসমূহ ==
S-এর একক হলো μm<sup>2</sup> sr। Δρ নিচের সমীকরণ ব্যবহার করে নিরূপণ করা হয়েছে এবং এর একক ডিগ্রি। চোখের ধরনগুলোর সম্পূর্ণ বর্ণনার জন্য অধ্যায় ৫ দেখুন।
* a: ফোকাল দৈর্ঘ্য গণনা করা হয়েছে ম্যাথিয়েসেন অনুপাত ব্যবহার করে: f = 1.25 A
* b: র্যাবডম দৈর্ঘ্য দ্বিগুণ ধরা হয়েছে কারণ সেখানে একটি ট্যাপেটাম বিদ্যমান।
* c: S গণনা করা হয়েছে k = 0.0067 μm<sup>–1</sup> দিয়ে, মনোক্রোম্যাটিক আলোর জন্য প্রযোজ্য সমীকরণ ব্যবহার করে। অন্যান্য সকল মান ব্রড-স্পেকট্রাম আলোর জন্য ব্যবহৃত সমীকরণ দিয়ে নিরূপণ করা হয়েছে।
* d: মান নেওয়া হয়েছে সম্মুখ চোখ থেকে।
* e: পশ্চাৎ-মধ্য (PM) চোখ।
* f: অগ্র-পার্শ্ব (AL) চোখ।
উৎস: *ভিজ্যুয়াল ইকোলজি*, ২০১৪।
== রেজোলিউশন সীমাবদ্ধকারী উপাদানসমূহ ==
ফোটোরিসেপ্টরের রিসেপ্টিভ ফিল্ডের আকার আনুমানিকভাবে নির্ণয় করা যায় নিচের সমীকরণ দিয়ে:<ref name = "ve2014"/>
<math> \Delta \rho = \frac{d}{f} </math>
এখানে d হলো ফোটোরিসেপ্টরের ব্যাস এবং f হলো ফোকাল দৈর্ঘ্য। এই সমীকরণ থেকে বোঝা যায়, বড় চোখে ভালো রেজোলিউশন পাওয়া সম্ভব, কারণ এর ফোকাল দৈর্ঘ্য বেশি হলেও ফোটোরিসেপ্টরের আকার একই থাকে। মূলত, রেটিনায় যত বেশি ফোটোরিসেপ্টর সংযুক্ত করা যায়, রেজোলিউশন তত উন্নত হয়। শিকারি পাখিদের দৃষ্টিশক্তি মানুষের চেয়ে অনেক বেশি সূক্ষ্ম। উদাহরণস্বরূপ, ঈগলের চোখ মানুষের চোখের মতোই বড়, অর্থাৎ শরীরের তুলনায় অনেক বড়, এবং তাতে ফোটোরিসেপ্টরের ঘনত্বও অনেক বেশি।
তবে আরও কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। ফটোগ্রাফির মতো, চোখের লেন্সেও বিভিন্ন ধরনের ত্রুটি দেখা যায়।
'''[https://en.wikipedia.org/wiki/Diffraction বিচ্ছুরণ]''' চিত্রকে ঝাপসা করে তোলে। একটি বিন্দুযুক্ত আলোর উৎস (যেমন, রাতের আকাশের একটি তারা) একটি বৃহৎ বিন্দু হিসেবে দেখা যায়, যার চারপাশে ক্ষীণ বৃত্ত থাকে। এই চিত্রকে *এয়ারি ডিস্ক* বলা হয়। এই ঝাপসা দৃষ্টি তখন ঘটে যখন আলোর উৎস থেকে আসা আলো একাধিক ফোটোরিসেপ্টরে পড়ে।<ref name="birdybird"> {{citation | author=Jones et al. | title= Avian Vision: A Review of Form and Function with Special Consideration to Birds of Prey| journal=Journal of Exotic Pet Medicine| year=2007}} </ref>
[[File:Airy-pattern.svg|thumb|কম্পিউটারে তৈরি একটি এয়ারি ডিস্কের চিত্র। বাইরের বলয়ের উজ্জ্বলতা বাড়ানোর জন্য গ্রেস্কেল ইনটেনসিটি সমন্বয় করা হয়েছে।]]
'''[https://en.wikipedia.org/wiki/Chromatic_aberration বর্ণবিচ্ছিন্ন ত্রুটি]''' প্রতিসরণ সূচক *n* হলো তরঙ্গদৈর্ঘ্যের একটি ফাংশন। এর মানে হলো, একটি লেন্স সব তরঙ্গদৈর্ঘ্যের আলোকে একই বিন্দুতে কেন্দ্রীভূত করতে পারে না। কিছু মাকড়সা এই বৈশিষ্ট্যকে গভীরতা অনুধাবনের জন্য ব্যবহার করতে অভিযোজিত হয়েছে। জাম্পিং স্পাইডারের রেটিনায় চারটি স্তর থাকে, যেগুলোর প্রতিটিতে ভিন্ন তরঙ্গদৈর্ঘ্যের আলো ফোকাস হয়। নাগাতা প্রমুখ গবেষণায় দেখতে পান যে সবুজ ফোটোরিসেপ্টর সবচেয়ে গভীর এবং দ্বিতীয় গভীর স্তর উভয়তেই উপস্থিত, যদিও সবুজ আলো সবচেয়ে গভীর স্তরে ফোকাস হয়। এর ফলে, দ্বিতীয় গভীর স্তরে সবুজ চিত্র সর্বদা অস্পষ্ট থাকে। এই স্তরগুলোর মধ্যে মিল না থাকাকে কাজে লাগিয়ে জাম্পিং স্পাইডার গভীরতা উপলব্ধি করতে সক্ষম হয়।<ref> {{citation| author = Nagata | title=Depth perception from image defocus in a jumping spider.|year=2012|journal=Science}} </ref>
কিছু মাছ এই বর্ণবিচ্ছিন্ন ত্রুটিকে কাটিয়ে উঠতে বহুফোকাল লেন্সের অভিযোজন ঘটিয়েছে।<ref>{{citation | author=Kröger et al. |title=Multifocal lenses compensate for chromatic defocus in vertebrate eyes.|year=1999|Journal of Computational Physiology}}</ref>
'''[https://en.wikipedia.org/wiki/Spherical_aberration গোলীয় ত্রুটি]''' বাস্তব লেন্সগুলো সমান্তরাল আলোকে একটি বিন্দুতে ফোকাস করতে পারে না, ফলে গোলীয় ত্রুটি নামে একটি সমস্যা দেখা দেয়। এই সমস্যাকে মোকাবিলা করতে যেসব অভিযোজন ঘটেছে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে অ-গোলীয় লেন্স (যদিও এতে অন্য সমস্যা সৃষ্টি হয়) এবং ধাপে পরিবর্তিত প্রতিসরণ সূচকযুক্ত লেন্স।
আরও একটি সমস্যা আছে যেটা এখানে আলোচনা করা হয়নি, তা হলো ফোটোরিসেপ্টরগুলোর মধ্যে অপটিকাল ক্রস টক।
== তথ্যসূত্র ==
{{সূত্র তালিকা}}
{{BookCat}}
h74z1fzvt66x2c5k3qc1he0zlfh08m9
84647
84646
2025-06-17T07:33:51Z
SMontaha32
11242
/* সংবেদনশীলতার সূত্র */
84647
wikitext
text/x-wiki
==দৈহিক প্রজাতি ভিত্তিক ভিজ্যুয়াল সিস্টেমের তুলনা==
এই অধ্যায়ে আমরা সংক্ষেপে তিন ধরনের মৌলিক ফটোরিসেপ্টর কোষ সম্পর্কে আলোচনা করব। এরপর আমরা পশুদের ভিজ্যুয়াল সিস্টেমের ভিজ্যুয়াল ইকোলজি অন্বেষণ শুরু করব: কীভাবে এগুলো বিভিন্ন স্পেকট্রাম ও আলোতীব্রতার সাথে খাপ খায়। এটি সংবেদনশীলতা এবং রেজোলিউশনের মধ্যে একটি ট্রেডঅফের দিকে নিয়ে যায়, কারণ উভয়ই পশুর প্রাপ্য সম্পদের জন্য প্রতিযোগিতা করে। যদি আলাদা করে উল্লেখ না করা হয়, এই অধ্যায়ের তথ্যসমূহ প্রখ্যাত বই ''ভিজ্যুয়াল ইকোলজি'' থেকে নেওয়া। <ref name=ve2014> {{Citation | author= Thomas W. Cronin, Sönke Johnsen, N. Justin Marshall, Eric J. Warrant| title= Visual Ecology | year = 2014 | publisher=Princeton University Press |ref=ve2014}} </ref>
===ফটোরিসেপ্টরের মৌলিক শ্রেণিসমূহ===
প্রাণী রাজ্যে ফটোরিসেপ্টর কোষের বিশাল বৈচিত্র্য বিদ্যমান। পার্থক্য থাকলেও এরা সকলেই একই মূল নীতিতে কাজ করে: যেহেতু ভিজ্যুয়াল পিগমেন্ট — যেগুলো ফোটন সনাক্ত করার জন্য দায়ী — শুধুমাত্র কোষের ঝিল্লিতে অবস্থান করতে পারে, তাই সব ফটোরিসেপ্টর যথেষ্ট ফোটন ধারণের জন্য ঝিল্লির স্তর তৈরি করে।
ফটোরিসেপ্টর কোষের দুইটি মৌলিক শ্রেণি রয়েছে। কশেরুকী প্রাণীদের (স্তন্যপায়ী, মাছ, পাখি, সরীসৃপ ইত্যাদি) ভিজ্যুয়াল রিসেপ্টর সিলিয়ারি এপিথেলিয়াল কোষ থেকে উদ্ভূত, তাই এগুলোকে "সিলিয়ারি রিসেপ্টর" বলা হয়। এগুলো আরও রড এবং কোণ হিসাবে বিভক্ত, অধিকাংশ কশেরুকী প্রাণীর দুটোই থাকে। সিলিয়ারি রিসেপ্টররা তাদের ঝিল্লিকে বাহ্যিক অংশে স্তূপাকৃত করে (ছবি দেখুন)।
অর্থ্রোপোড (পোকা, ক্রাস্টেসিয়ান ইত্যাদি) ও মোলাস্ক (স্ক্যালপ, অক্টোপাস ইত্যাদি) অজস্র ছোট, সিলিন্ডারাকৃত মাইক্রোভিলি রয়েছে, যেগুলোতে ভিজ্যুয়াল পিগমেন্ট থাকে। এই সিলিন্ডারগুলো কোষদেহ থেকে বেরিয়ে দাঁতের ব্রাশের ব্রিস্টলসের মতো। এই রিসেপ্টর কোষগুলোকে রাবডোম বলা হয়। খুব কিছু প্রাণী যেমন স্ক্যালপ উভয় সিলিয়ারি ও রাবডোমেরিক ফটোরিসেপ্টর ব্যবহার করে।
{|style="background:transparent; color:black" border="0" height="230" align="center" valign="bottom" cellpadding=10px cellspacing=0px
|+style="background:transparent; color:black"|''''' রিসেপ্টর কোষসমূহ '''''
|-align="center"
|
| [[File:Rod Cell.svg|thumb|রড কোষ: নিচ থেকে আলো আসছে]]
|
| [[File:Cone cell eng.png|thumb|কোন কোষ: নিচ থেকে আলো আসছে]]
|
|-align="center" valign="top"
|}
===স্পেকট্রামের বিভিন্ন অংশে সংবেদনশীলতা===
সকল প্রাণীর মধ্যে দৃষ্টি শুরু হয় আলোকে ফটোকেমিক্যালভাবে সনাক্ত করার মাধ্যমে। ফটোপিগমেন্ট হলো এমন অণু যেগুলো একটি ফোটন ধরার সময় পরিবর্তিত হয় (এই প্রক্রিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত [[Sensory_Systems/Visual_System#Creation_of_the_initial_signals_-_Photosensor_Function|এখানে]] পাওয়া যাবে)। ভিজ্যুয়াল সিস্টেমে ব্যবহৃত ফটোপিগমেন্টগুলোকে ভিজ্যুয়াল পিগমেন্ট বলা হয়। বিভিন্ন ধরনের ভিজ্যুয়াল পিগমেন্ট রয়েছে এবং এদের বিভিন্ন শোষণ স্পেকট্রাম থাকে অর্থাৎ তারা আলোর বিভিন্ন রং সনাক্ত করতে পারে। রঙিন দর্শনসম্পন্ন প্রাণীদের একাধিক ভিজ্যুয়াল পিগমেন্ট প্রয়োজন বিভিন্ন স্পেকট্রাল সংবেদনশীলতার জন্য। তবে অধিকাংশ প্রাণীর এক ধরনের ভিজ্যুয়াল পিগমেন্টই অধিক মাত্রায় প্রকাশ পায়। এর একটি যুক্তিযুক্ত ব্যাখ্যা হলো সংবেদনশীলতা হাইপোথিসিস। এর একটি সম্ভাব্য বিবৃতি হতে পারে:
{{quote|
|text = "একটি নির্দিষ্ট প্রজাতির রড ভিজ্যুয়াল পিগমেন্ট প্রাকৃতিক পরিবেশে ফোটন গ্রহনের সর্বোচ্চ মাত্রা অর্জনের জন্য স্পেকট্রালভাবে স্থাপন করা হয়"
|sign= Cronin et al.
|source = Visual Ecology
}}
রডগুলো কম আলোতে দেখার জন্য দায়ী যেখানে উপলব্ধ আলো খুবই দুর্বল এবং উপলব্ধ আলোর প্রতি সংবেদনশীল থাকা জরুরি। এই হাইপোথিসিস গভীর সমুদ্রের প্রাণীদের ওপর গবেষণার সময় তৈরি হয়েছিল এবং সেখানে এটি ভালোমতো প্রযোজ্য। অন্য সকল আবাসস্থলের জন্য এটি কিছুটা সমস্যাযুক্ত।
====গভীর সমুদ্রে স্পেকট্রাল অভিযোজন====
[[File:Spectra at various daytimes.png|thumb|এই গ্রাফে দেখানো হয়েছে কিভাবে স্থলভিত্তিক আবাসস্থলে সময়ের সাথে স্পেকট্রাম পরিবর্তিত হতে পারে।]]
ডেন্টন এবং ওয়ারেনের পাশাপাশি ১৯৫৭ সালে মঞ্জের প্রাথমিক গবেষণায় দেখা গেছে গভীর সমুদ্রের প্রাণীদের ভিজ্যুয়াল পিগমেন্টের সর্বোচ্চ শোষণ ব্লু অংশে হয়। সাম্প্রতিক একটি গভীর সমুদ্র মাছের গবেষণায় রিপোর্ট করা হয়েছে সর্বোচ্চ শোষণ প্রায় ৪৮০ nm এর কাছাকাছি কেন্দ্রিত।<ref> {{Citation|author=Douglas et al. | year=2003 | title=Sensory Processing in Aquatic Environments | chapter=Spectral Sensitivity Tuning in the Deep-Sea }} </ref> এটি গভীর সমুদ্রের স্পেকট্রামের সাথে মিলে যায় যেখানে অনেক মিটার জল অন্য সকল তরঙ্গদৈর্ঘ্যকে ফিল্টার করে ফেলে। কেন গভীর সমুদ্রের চিংড়িগুলো প্রায় ৫০০ nm তরঙ্গদৈর্ঘ্যে সর্বোচ্চ শোষণ করে তা এখনও বোঝা যায়নি। <ref>{{Citation|author=Marshall et al. | year=2003 | title=Sensory Processing in Aquatic Environments | chapter=The design of color signals and color vision in fishes }} </ref>
মেরিন স্তন্যপায়ীরা স্থলভিত্তিক স্তন্যপায়ীদের তুলনায় অনেক বিস্তৃত তরঙ্গদৈর্ঘ্যের সর্বোচ্চ শোষণ দেখায়। যেখানে স্থলভিত্তিক স্তন্যপায়ীদের রড পিগমেন্ট প্রায় ৫০০ nm তরঙ্গদৈর্ঘ্যে সর্বোচ্চ শোষণ করে, সেখানে মেরিন স্তন্যপায়ীদের শোষণ ৪৮০ থেকে ৫০৫ nm এর মধ্যে পরিবর্তিত হয়। গভীরে খাদ্য সংগ্রহকারী প্রাণীদের ভিজ্যুয়াল পিগমেন্ট ব্লু রংয়ের দিকে সরানো থাকে (λ<sub>max</sub> ≤ ৪৯০ nm) এবং উপকূলীয় অঞ্চলে বসবাসকারী স্তন্যপায়ীদের λ<sub>max</sub> মান স্থলভিত্তিক প্রাণীদের কাছাকাছি থাকে।<ref>{{Citation|author=Fasick JI, Robinson PR. | year=2000 | title= Spectral-tuning mechanisms of marine mammal rhodopsins and correlations with foraging depth.}} </ref>
====বিভিন্ন আবাসস্থলের স্পেকট্রা====
{{multiple image
| header = পানির নিচের আবাসস্থলে রং
| direction = vertical
| width = 250
| footer = ১০ মিটার গভীরতার উপরে নেওয়া একটি প্রবাল প্রাচীরের ছবি। সংশোধিত ছবিটি দেখায় প্রবাল প্রাচীরটি ব্রড ডে-লাইটে কেমন দেখাতে পারে।
| image1 = Korallenriff ungefiltert.jpg
| alt1 = প্রবাল প্রাচীরের মূল ছবি (ঠান্ডা রং)
| caption1 = সংশোধনহীন ছবি, যেখানে রংয়ের তাপমাত্রা প্রায় ৬০০০ K
| image2 = Korallenriff.jpg
| alt2 = সংশোধিত প্রবাল প্রাচীরের ছবি (গরম রং)
| caption2 = সংশোধিত ছবি, যেখানে রংয়ের তাপমাত্রা প্রায় ৪২০০ K
}}
আবাসস্থলগুলো খুবই স্বতন্ত্র স্পেকট্রাম ধারণ করে। আলোর তীব্রতা ও স্পেকট্রাম গঠন পৃথিবীর ওপর প্রবেশের কোণের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হয়। বায়ুমণ্ডলের পাশাপাশি পানি ও গাছপালা প্রাকৃতিক ফিল্টার হিসেবে কাজ করে। জলের মধ্যে লাল রং দ্রুত ফিল্টার হয়ে যায় এবং নীল রং গভীরতর পৌঁছায়।<ref> {{citation | title= Underwater light field and spectral distribution of attenuation depth in inland and coastal waters| author= Tuuli Kauer, Helgi Arst, Lea Tuvikene | year=2010 | journal = Oceanologia}}</ref>
একই ধরনের প্রভাব দেখা যায় বনজঙ্গলের গাছপালায় যেখানে সবুজ উদ্ভিদ আলো ফিল্টার করে। পাতার মধ্যে দিয়ে যাওয়ার সময় সবুজ ছাড়া অন্য রংয়ের অংশগুলো প্রথমে ফিল্টার হয়ে যায় এবং উপরের অংশে (২৩ থেকে ১১ মিটার) সবুজ আলোই প্রধান থাকে। নিচে এক ধরনের দুর্বল আলো থাকে, যা প্রধানত মানুষের চোখে অদৃশ্য নিকট-ইনফ্রারেড রশ্মি দ্বারা দখল করা থাকে।<ref> {{citation | author = De Castro, Francisco | year = 1999 | title = Light spectral composition in a tropical forest: measurements and model | journal = tree physiology}} </ref>
====সংবেদনশীলতা অনুমান সম্পর্কিত সমস্যা====
গভীর সাগরের বাইরে অন্য যে কোনো আবাসস্থলের জন্য সংবেদনশীলতা অনুমান যথেষ্ট নয়। পরিষ্কার পানির উপরের অংশের পরিবেশের স্পেকট্রাম অনুযায়ী ভিজ্যুয়াল পিগমেন্টের সর্বোচ্চ শোষণ তরঙ্গদৈর্ঘ্য বেশি হওয়া উচিত, কিন্তু বাস্তবে এমন হয় না। কোনও সরিসৃপ এর রডের সর্বোচ্চ শোষণ ৫২৫ nm এর বেশি তরঙ্গদৈর্ঘ্যে দেখা যায় না, যদিও উচ্চ তরঙ্গদৈর্ঘ্যের আলো তীব্রতা ক্রমাগত বৃদ্ধি পায়। অধিকাংশ রডের শোষণ প্রায় ৫০০ nm বা তার কমে শিখরযুক্ত। এমনকি রাতের বেলায় সক্রিয় কিছু কীটপতঙ্গেরও শোষণ শিখর ৫৪৫ nm এর বেশি নয়।
একটি সম্ভাব্য কারণ হলো, উচ্চ তরঙ্গদৈর্ঘ্যের আলো সনাক্ত করার জন্য ব্যবহৃত ভিজ্যুয়াল পিগমেন্টগুলো কম নির্ভরযোগ্য কারণ তাদের কম তাপীয় সক্রিয়তার সীমা। ফলে, এগুলো তাপীয় শব্দে বেশি সংবেদনশীল। তাপীয় শব্দ ভিজ্যুয়াল সিস্টেমের সীমাবদ্ধতা হিসেবে কাজ করতে পারে — এই ধারণা ঠাণ্ডা রক্তবিশিষ্ট জলজ উভচর প্রাণীদের উপর করা পরীক্ষা দ্বারা সমর্থিত। ব্যাঙ ও তোয়াদ মানুষের তুলনায় কম আলোতে অধিক কার্যকর এবং তাপমাত্রা বৃদ্ধির সঙ্গে তাদের কার্যকারিতা কমে, যা প্রাণীর সর্বনিম্ন পর্যবেক্ষণযোগ্য তীব্রতা ও রেটিনার তাপীয় আইসোমারাইজেশন রেট (অর্থাৎ কতবার ভিজ্যুয়াল পিগমেন্ট তাপীয় আন্দোলনের কারণে ট্রিগার হয়, আলো থেকে নয়) এর মধ্যে একটি একরৈখিক সম্পর্ক নির্দেশ করে। <ref> {{citation | author =Aho et al. | title = Low retinal noise in animals with low body temperature allows high visual sensitivity | journal = Nature | year = 1988}} </ref>
===সত্যিকারের চোখের মৌলিক নকশা মূলনীতি===
একটি চোখকে "সত্যিকারের চোখ" ধরা হয় যদি এটি স্থানীয় দৃষ্টিশক্তি সক্ষম হয়, অর্থাৎ এটি কিছু রকমের স্থানীয় রেজোলিউশন এবং চিত্রায়ন করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, একটি চোখ স্পট — যা একটি সরল ফোটোরিসেপ্টর প্যাচ — তা সত্যিকারের চোখ নয় কারণ এটি শুধুমাত্র আলো উপস্থিতি সনাক্ত করতে পারে, তবে এর উৎস সঠিকভাবে নির্ণয় করতে পারে না, কেবলমাত্র একটি আনুমানিক দিক নির্দেশ করতে পারে। এই ধরনের চোখগুলোরও ব্যবহার আছে: একটি মাটির নিচে থাকা প্রাণী যখন পৃথিবীর পৃষ্ঠে উঠে আসে তা সনাক্ত করতে পারে, অথবা একজন প্রাণী জানতেপারে সে ছায়ার মধ্যে ঢুকেছে বা বের হয়েছে, কিংবা এটি বিপজ্জনক মাত্রার অতিবেগুনি রশ্মি সনাক্ত করার জন্য ব্যবহার করতে পারে।<ref> {{citation | author=Nilsson, DE | title=Eye evolution and its functional basis |year=2013 | journal=Visual Neuroscience}} </ref>
পরবর্তী আলোচনায় আমরা সত্যিকারের চোখ নিয়ে কাজ করব। সব সত্যিকারের চোখের রেটিনায় ফোটোরিসেপ্টর নির্দিষ্ট অবস্থানে থাকে এবং তারা আশপাশের পৃথিবীর একটি সুনির্দিষ্ট অংশ থেকে আলো গ্রহণ করে। এর মানে প্রতিটি ফোটোরিসেপ্টর একটি পিক্সেলের মতো কাজ করে। ফোটোরিসেপ্টর যে স্থান থেকে আলো গ্রহণ করে তা সীমাবদ্ধ করতে, সব সত্যিকারের চোখে একটি অ্যাপারচার বা পিউপিল থাকে।
একটি প্রাণীর চোখের আকার তার জৈবিক শক্তি চাহিদার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় — বড় চোখের যত্ন-নিয়ন্ত্রণে বেশি খরচ হয়। নির্দিষ্ট আকারের চোখে রেজোলিউশন এবং সংবেদনশীলতার মধ্যে অবশ্যম্ভাবীভাবে একটি সমঝোতা থাকে। উচ্চ রেজোলিউশন ভিশনের জন্য ছোট এবং ঘন পিক্সেল/ফোটোরিসেপ্টর দরকার, যেগুলো কম আলোর তীব্রতায় বেশি শব্দ সংবেদনশীল হয়। এজন্য একটি রাত্রিকালীন প্রাণী হয়তো এমন পিক্সেল বিকশিত করবে যা তুলনামূলক বড় আকারের এবং বেশি আলো ধরে, যদিও এর ফলে রেজোলিউশন কমে যায়।
====সংবেদনশীলতাকে সীমাবদ্ধকারী শব্দের ধরণগুলি====
বহিরাগত এবং অভ্যন্তরীণ শব্দের বিভিন্ন ধরণ রয়েছে।
'''[https://en.wikipedia.org/wiki/Shot_noise শট নয়েজ]''' আলোর কণার প্রকৃতির কারণে, একটি ফোটোরিসেপ্টরে পৌঁছানো ফোটনের সংখ্যা একটি পোয়াসঁ প্রক্রিয়া হিসেবে বর্ণনা করা যায়, যার সংকেত থেকে শব্দ অনুপাত (SNR) হয়:
<math>\mathrm{SNR} = \frac{N}{\sqrt{N}} = {\sqrt {N}}. , </math>
এখানে N হল গড় ইনসিডেন্ট ফোটনের সংখ্যা এবং <math> \sqrt{N} </math> হল স্ট্যান্ডার্ড ডিভিয়েশন। মানুষের চোখ মাত্র ৫ থেকে ১৫ ফোটনও অনুভব করতে সক্ষম<ref> {{citation | author =Pirenne, M.H. | title= Vision and the Eye | year=1948 | publisher = Chapman and Hall, Ltd.}} </ref>, কিন্তু আলো উৎসের অস্তিত্ব ছাড়া অন্য কোনো বৈশিষ্ট্য দেখা সম্ভব নয়। ডি ভ্রিস-রোজ স্কয়ার আইন বর্ণনা করে কিভাবে কনট্রাস্ট SNR এর সাথে বাড়ে। <ref> {{citation| author = Rose, A. | title=The Sensitivity Performance of the Human Eye on an Absolute Scale | journal = Journal of the Optical Society of America| year=1948}} </ref> এর অর্থ, সবচেয়ে ন্যূনতম কনট্রাস্ট যা অনুভব করা যায় তা শট নয়েজ দ্বারা নির্ধারিত।
'''ট্রান্সডিউসার নয়েজ'''
ফোটোরিসেপ্টর প্রতিটি শোষিত ফোটনের জন্য সমান বৈদ্যুতিক সংকেত দিতে অক্ষম।<ref> {{citation | author= P. G. Lillywhite & S. B. Laughlin | title= Transducer noise in a photoreceptor | year =1980 | journal = Nature}} </ref>
'''অন্ধকার বা তাপীয় শব্দ'''
আগেই আলোচনা করা হয়েছে, শব্দের আরেকটি উৎস হল ফোটনের সংকেত প্রক্রিয়াকরণে সংশ্লিষ্ট বায়োরাসায়নিক পথের তাপীয় এলোমেলো সক্রিয়তা। বেইলর এবং তার সহকর্মীরা অন্ধকার শব্দের দুটি উপাদান শনাক্ত করেন: একটি ক্ষুদ্র ধারাবাহিক ওঠানামা এবং ফোটনের আগমনের সঙ্গে অনির্দেশ্যভাবে মিল রেখে ঘটে যাওয়া ঘটনাসদৃশ স্পাইক, যা একটি ভিজ্যুয়াল পিগমেন্টের তাপীয় সক্রিয়তার কারণে ঘটে থাকে।<ref> {{citation | author= Baylor et al | title= Two components of electrical dark noise in toad retinal rod outer segments | year =1979 | journal = Journal of Physiology}} </ref>
====সংবেদনশীলতার সূত্র====
একটি চোখের অপটিক্যাল সংবেদনশীলতা (S) নিরূপণ করতে তিনটি উপাদানকে গুণ করতে হয়: পিউপিলের ক্ষেত্রফল, ফোটোরিসেপ্টরের দেখা কঠিন কোণ এবং শোষিত আলোর ভগ্নাংশ।<ref name="warrant1998"> {{ citation | author =Warrant EJ, Nilsson DE | title=Absorption of white light in photoreceptors |year=1998|journal=Vision Research}} </ref>
<math> S = \frac{\pi}{4} A^2 \cdot \frac{\pi}{4} \frac{d^2}{f^2} \cdot \frac{kl}{2.3+kl} \quad \text{(বিস্তৃত তরঙ্গদৈর্ঘ্যের জন্য)}</math>
এখানে A হল অ্যাপারচারের ব্যাস, f হল চোখের ফোকাল দৈর্ঘ্য, এবং d, l ও k যথাক্রমে ফোটোরিসেপ্টরের ব্যাস, দৈর্ঘ্য ও শোষণ সহগ। উপরোক্ত সমীকরণে শোষিত আলোর ভগ্নাংশ দিনের আলোর (ব্রড-স্পেকট্রাম) জন্য হিসাব করা হয়েছে। গভীর সমুদ্রে আলো প্রধানত ৪৮০ nm তরঙ্গদৈর্ঘ্যের মনোক্রোম্যাটিক নীল আলো, তাই সেখানে ভগ্নাংশের পরিবর্তে সরাসরি শোষণ ব্যবহার করা যায়।<ref name="warrant1998" />
<math> S = \frac{\pi}{4} A^2 \cdot \frac{\pi}{4} \frac{d^2}{f^2} \cdot (1-e^{-kl}) \quad \text{(মনোক্রোম্যাটিক)}</math>
শোষণ সহগ k নির্দেশ করে, প্রতি একক দৈর্ঘ্যে একটি ফোটোরিসেপ্টর কতটুকু আলো শোষণ করে। ওয়ারেন্ট এবং নিলসন (1998) বিভিন্ন প্রাণীর জন্য k এর মান দিয়েছেন, যেমন: গৃহমাছির জন্য 0.005 μm⁻¹, গভীর সমুদ্রের মাছের জন্য 0.064 μm⁻¹, আর মানুষের রড কোষের জন্য 0.028 μm⁻¹। আশ্চর্যের বিষয়, তিনি লক্ষ্য করেন যে, একই আলোর তীব্রতায় বসবাসকারী অমেরুদণ্ডী প্রাণীদের তুলনায় মেরুদণ্ডী প্রাণীদের k এর মান প্রায় পাঁচগুণ বেশি।
{| class="wikitable" style="margin: 1em auto 1em auto;"
|+ '''অন্ধকারে অভিযোজিত চোখের অপটিক্যাল সংবেদনশীলতা ও ফোটোরিসেপ্টর গ্রহণ কোণ'''
|-
! প্রজাতি !! প্রাণী !! চোখের ধরন !! A (μm) !! d (μm) !! f (μm) !! l (μm) !! S (μm<sup>2</sup> sr) !! Δρ (°)
|-
| সিরোলানা || আইসোপড || নিম্ন-মেসোপেলাজিক অ্যাপোজিশন || ১৫০ || ৯০ || ১০০ || ৯০ || ৫,০৯২ c || ৫২
|-
| অপলোফোরাস || চিংড়ি || মেসোপেলাজিক সুপারপজিশন || ৬০০ || ২০০ b || ২২৬ || ২০০ b || ৩,৩০০ c || ৮.১
|-
| ডিনোপিস || মাকড়সা || নিশাচর ক্যামেরা e || ১,৩২৫ || ৫৫ || ৭৭১ || ৫৫ || ১০১ || ১.৫
|-
| ডেইলিফিলা || হক মথ || নিশাচর সুপারপজিশন || ৯৩৭ d || ৪১৪ b || ৬৭৫ || ৪১৪ b || ৬৯ || ০.৯
|-
| ওনাইটিস আইগুলাস || গো-মাছা || নিশাচর সুপারপজিশন || ৮৪৫ || ৮৬ || ৫০৩ || ৮৬ || ৫৮.৯ || ৩.৩
|-
| এফেস্টিয়া || মথ || নিশাচর সুপারপজিশন || ৩৪০ || ১১০ b || ১৭০ || ১১০ b || ৩৮.৪ || ২.৭
|-
| ম্যাক্রোগ্লোসাম || হক মথ || দিবাচর সুপারপজিশন || ৫৮১ d || ৩৬২ b || ৪০৯ || ৩৬২ b || ৩৭.৯ || ১.১
|-
| অক্টোপাস || অক্টোপাস || এপিপেলাজিক ক্যামেরা || ৮,০০০ || ২০০ || ১০,০০০ || ২০০ || ৪.২ c || ০.০২
|-
| পেক্টেন || স্ক্যালপ || উপকূলীয় অবতল দর্পণ || ৪৫০ || ১৫ || ২৭০ || ১৫ || ৪ || ১.৬
|-
| মেগালোপ্টা || সুইট মৌমাছি || নিশাচর অ্যাপোজিশন || ৩৬ || ৩৫০ || ৯৭ || ৩৫০ || ২.৭ || ৪.৭
|-
| বুফো || টোড || নিশাচর ক্যামেরা || ৫,৫৫০ || ৫৪ || ৪,৭১৪ || ৫৪ || ২.৪১ || ০.০৩
|-
| আর্কিটুথিস || স্কুইড || নিম্ন-মেসোপেলাজিক ক্যামেরা || ৯০,০০০ || ৬৭৭ || ১১২,৫০০ a || ৬৭৭ || ২.৩ c || ০.০০২
|-
| ওনাইটিস বেলিয়াল || গো-মাছা || দিবাচর সুপারপজিশন || ৩০৯ || ৩২ || ৩৩৮ || ৩২ || ১.৯ || ১.১
|-
| প্ল্যানারিয়া || ফ্ল্যাটওয়ার্ম || রঞ্জক কাপ || ৩০ || ৬ || ২৫ || ৬ || ১.৫ || ২২.৯
|-
| হোমো || মানব || দিবাচর ক্যামেরা || ৮,০০০ || ৩০ || ১৬,৭০০ || ৩০ || ০.৯৩ || ০.০১
|-
| লিটোরিনা || সামুদ্রিক শামুক || উপকূলীয় ক্যামেরা || ১০৮ || ২০ || ১২৬ || ২০ || ০.৪ || ১.৮
|-
| ভানাদিস || সামুদ্রিক কৃমি || উপকূলীয় ক্যামেরা || ২৫০ || ৮০ || ১,০০০ || ৮০ || ০.২৬ || ০.৩
|-
| এপিস || মৌমাছি || দিবাচর অ্যাপোজিশন || ২০ || ৩২০ || ৬৬ || ৩২০ || ০.১ || ১.৭
|-
| ফিডিপ্পাস || মাকড়সা || দিবাচর ক্যামেরা f || ৩৮০ || ২৩ || ৭৬৭ || ২৩ || ০.০৩৮ || ০.২
|-
|+ S = সংবেদনশীলতা, Δρ = ফোটোরিসেপ্টর গ্রহণ কোণ (উল্লেখিত সমীকরণ থেকে), A = অ্যাপারচারের ব্যাস; d ও l = ফোটোরিসেপ্টরের ব্যাস ও দৈর্ঘ্য; f = ফোকাল দৈর্ঘ্য। উৎস: *ভিজ্যুয়াল ইকোলজি* (২০১৪)
|}
== নোটসমূহ ==
S-এর একক হলো μm<sup>2</sup> sr। Δρ নিচের সমীকরণ ব্যবহার করে নিরূপণ করা হয়েছে এবং এর একক ডিগ্রি। চোখের ধরনগুলোর সম্পূর্ণ বর্ণনার জন্য অধ্যায় ৫ দেখুন।
* a: ফোকাল দৈর্ঘ্য গণনা করা হয়েছে ম্যাথিয়েসেন অনুপাত ব্যবহার করে: f = 1.25 A
* b: র্যাবডম দৈর্ঘ্য দ্বিগুণ ধরা হয়েছে কারণ সেখানে একটি ট্যাপেটাম বিদ্যমান।
* c: S গণনা করা হয়েছে k = 0.0067 μm<sup>–1</sup> দিয়ে, মনোক্রোম্যাটিক আলোর জন্য প্রযোজ্য সমীকরণ ব্যবহার করে। অন্যান্য সকল মান ব্রড-স্পেকট্রাম আলোর জন্য ব্যবহৃত সমীকরণ দিয়ে নিরূপণ করা হয়েছে।
* d: মান নেওয়া হয়েছে সম্মুখ চোখ থেকে।
* e: পশ্চাৎ-মধ্য (PM) চোখ।
* f: অগ্র-পার্শ্ব (AL) চোখ।
উৎস: *ভিজ্যুয়াল ইকোলজি*, ২০১৪।
== রেজোলিউশন সীমাবদ্ধকারী উপাদানসমূহ ==
ফোটোরিসেপ্টরের রিসেপ্টিভ ফিল্ডের আকার আনুমানিকভাবে নির্ণয় করা যায় নিচের সমীকরণ দিয়ে:<ref name = "ve2014"/>
<math> \Delta \rho = \frac{d}{f} </math>
এখানে d হলো ফোটোরিসেপ্টরের ব্যাস এবং f হলো ফোকাল দৈর্ঘ্য। এই সমীকরণ থেকে বোঝা যায়, বড় চোখে ভালো রেজোলিউশন পাওয়া সম্ভব, কারণ এর ফোকাল দৈর্ঘ্য বেশি হলেও ফোটোরিসেপ্টরের আকার একই থাকে। মূলত, রেটিনায় যত বেশি ফোটোরিসেপ্টর সংযুক্ত করা যায়, রেজোলিউশন তত উন্নত হয়। শিকারি পাখিদের দৃষ্টিশক্তি মানুষের চেয়ে অনেক বেশি সূক্ষ্ম। উদাহরণস্বরূপ, ঈগলের চোখ মানুষের চোখের মতোই বড়, অর্থাৎ শরীরের তুলনায় অনেক বড়, এবং তাতে ফোটোরিসেপ্টরের ঘনত্বও অনেক বেশি।
তবে আরও কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। ফটোগ্রাফির মতো, চোখের লেন্সেও বিভিন্ন ধরনের ত্রুটি দেখা যায়।
'''[https://en.wikipedia.org/wiki/Diffraction বিচ্ছুরণ]''' চিত্রকে ঝাপসা করে তোলে। একটি বিন্দুযুক্ত আলোর উৎস (যেমন, রাতের আকাশের একটি তারা) একটি বৃহৎ বিন্দু হিসেবে দেখা যায়, যার চারপাশে ক্ষীণ বৃত্ত থাকে। এই চিত্রকে *এয়ারি ডিস্ক* বলা হয়। এই ঝাপসা দৃষ্টি তখন ঘটে যখন আলোর উৎস থেকে আসা আলো একাধিক ফোটোরিসেপ্টরে পড়ে।<ref name="birdybird"> {{citation | author=Jones et al. | title= Avian Vision: A Review of Form and Function with Special Consideration to Birds of Prey| journal=Journal of Exotic Pet Medicine| year=2007}} </ref>
[[File:Airy-pattern.svg|thumb|কম্পিউটারে তৈরি একটি এয়ারি ডিস্কের চিত্র। বাইরের বলয়ের উজ্জ্বলতা বাড়ানোর জন্য গ্রেস্কেল ইনটেনসিটি সমন্বয় করা হয়েছে।]]
'''[https://en.wikipedia.org/wiki/Chromatic_aberration বর্ণবিচ্ছিন্ন ত্রুটি]''' প্রতিসরণ সূচক *n* হলো তরঙ্গদৈর্ঘ্যের একটি ফাংশন। এর মানে হলো, একটি লেন্স সব তরঙ্গদৈর্ঘ্যের আলোকে একই বিন্দুতে কেন্দ্রীভূত করতে পারে না। কিছু মাকড়সা এই বৈশিষ্ট্যকে গভীরতা অনুধাবনের জন্য ব্যবহার করতে অভিযোজিত হয়েছে। জাম্পিং স্পাইডারের রেটিনায় চারটি স্তর থাকে, যেগুলোর প্রতিটিতে ভিন্ন তরঙ্গদৈর্ঘ্যের আলো ফোকাস হয়। নাগাতা প্রমুখ গবেষণায় দেখতে পান যে সবুজ ফোটোরিসেপ্টর সবচেয়ে গভীর এবং দ্বিতীয় গভীর স্তর উভয়তেই উপস্থিত, যদিও সবুজ আলো সবচেয়ে গভীর স্তরে ফোকাস হয়। এর ফলে, দ্বিতীয় গভীর স্তরে সবুজ চিত্র সর্বদা অস্পষ্ট থাকে। এই স্তরগুলোর মধ্যে মিল না থাকাকে কাজে লাগিয়ে জাম্পিং স্পাইডার গভীরতা উপলব্ধি করতে সক্ষম হয়।<ref> {{citation| author = Nagata | title=Depth perception from image defocus in a jumping spider.|year=2012|journal=Science}} </ref>
কিছু মাছ এই বর্ণবিচ্ছিন্ন ত্রুটিকে কাটিয়ে উঠতে বহুফোকাল লেন্সের অভিযোজন ঘটিয়েছে।<ref>{{citation | author=Kröger et al. |title=Multifocal lenses compensate for chromatic defocus in vertebrate eyes.|year=1999|Journal of Computational Physiology}}</ref>
'''[https://en.wikipedia.org/wiki/Spherical_aberration গোলীয় ত্রুটি]''' বাস্তব লেন্সগুলো সমান্তরাল আলোকে একটি বিন্দুতে ফোকাস করতে পারে না, ফলে গোলীয় ত্রুটি নামে একটি সমস্যা দেখা দেয়। এই সমস্যাকে মোকাবিলা করতে যেসব অভিযোজন ঘটেছে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে অ-গোলীয় লেন্স (যদিও এতে অন্য সমস্যা সৃষ্টি হয়) এবং ধাপে পরিবর্তিত প্রতিসরণ সূচকযুক্ত লেন্স।
আরও একটি সমস্যা আছে যেটা এখানে আলোচনা করা হয়নি, তা হলো ফোটোরিসেপ্টরগুলোর মধ্যে অপটিকাল ক্রস টক।
== তথ্যসূত্র ==
{{সূত্র তালিকা}}
{{BookCat}}
f6z669bsqjngu8rwoazgo85x2cqe4kd
84648
84647
2025-06-17T07:34:46Z
SMontaha32
11242
/* সংবেদনশীলতার সূত্র */
84648
wikitext
text/x-wiki
==দৈহিক প্রজাতি ভিত্তিক ভিজ্যুয়াল সিস্টেমের তুলনা==
এই অধ্যায়ে আমরা সংক্ষেপে তিন ধরনের মৌলিক ফটোরিসেপ্টর কোষ সম্পর্কে আলোচনা করব। এরপর আমরা পশুদের ভিজ্যুয়াল সিস্টেমের ভিজ্যুয়াল ইকোলজি অন্বেষণ শুরু করব: কীভাবে এগুলো বিভিন্ন স্পেকট্রাম ও আলোতীব্রতার সাথে খাপ খায়। এটি সংবেদনশীলতা এবং রেজোলিউশনের মধ্যে একটি ট্রেডঅফের দিকে নিয়ে যায়, কারণ উভয়ই পশুর প্রাপ্য সম্পদের জন্য প্রতিযোগিতা করে। যদি আলাদা করে উল্লেখ না করা হয়, এই অধ্যায়ের তথ্যসমূহ প্রখ্যাত বই ''ভিজ্যুয়াল ইকোলজি'' থেকে নেওয়া। <ref name=ve2014> {{Citation | author= Thomas W. Cronin, Sönke Johnsen, N. Justin Marshall, Eric J. Warrant| title= Visual Ecology | year = 2014 | publisher=Princeton University Press |ref=ve2014}} </ref>
===ফটোরিসেপ্টরের মৌলিক শ্রেণিসমূহ===
প্রাণী রাজ্যে ফটোরিসেপ্টর কোষের বিশাল বৈচিত্র্য বিদ্যমান। পার্থক্য থাকলেও এরা সকলেই একই মূল নীতিতে কাজ করে: যেহেতু ভিজ্যুয়াল পিগমেন্ট — যেগুলো ফোটন সনাক্ত করার জন্য দায়ী — শুধুমাত্র কোষের ঝিল্লিতে অবস্থান করতে পারে, তাই সব ফটোরিসেপ্টর যথেষ্ট ফোটন ধারণের জন্য ঝিল্লির স্তর তৈরি করে।
ফটোরিসেপ্টর কোষের দুইটি মৌলিক শ্রেণি রয়েছে। কশেরুকী প্রাণীদের (স্তন্যপায়ী, মাছ, পাখি, সরীসৃপ ইত্যাদি) ভিজ্যুয়াল রিসেপ্টর সিলিয়ারি এপিথেলিয়াল কোষ থেকে উদ্ভূত, তাই এগুলোকে "সিলিয়ারি রিসেপ্টর" বলা হয়। এগুলো আরও রড এবং কোণ হিসাবে বিভক্ত, অধিকাংশ কশেরুকী প্রাণীর দুটোই থাকে। সিলিয়ারি রিসেপ্টররা তাদের ঝিল্লিকে বাহ্যিক অংশে স্তূপাকৃত করে (ছবি দেখুন)।
অর্থ্রোপোড (পোকা, ক্রাস্টেসিয়ান ইত্যাদি) ও মোলাস্ক (স্ক্যালপ, অক্টোপাস ইত্যাদি) অজস্র ছোট, সিলিন্ডারাকৃত মাইক্রোভিলি রয়েছে, যেগুলোতে ভিজ্যুয়াল পিগমেন্ট থাকে। এই সিলিন্ডারগুলো কোষদেহ থেকে বেরিয়ে দাঁতের ব্রাশের ব্রিস্টলসের মতো। এই রিসেপ্টর কোষগুলোকে রাবডোম বলা হয়। খুব কিছু প্রাণী যেমন স্ক্যালপ উভয় সিলিয়ারি ও রাবডোমেরিক ফটোরিসেপ্টর ব্যবহার করে।
{|style="background:transparent; color:black" border="0" height="230" align="center" valign="bottom" cellpadding=10px cellspacing=0px
|+style="background:transparent; color:black"|''''' রিসেপ্টর কোষসমূহ '''''
|-align="center"
|
| [[File:Rod Cell.svg|thumb|রড কোষ: নিচ থেকে আলো আসছে]]
|
| [[File:Cone cell eng.png|thumb|কোন কোষ: নিচ থেকে আলো আসছে]]
|
|-align="center" valign="top"
|}
===স্পেকট্রামের বিভিন্ন অংশে সংবেদনশীলতা===
সকল প্রাণীর মধ্যে দৃষ্টি শুরু হয় আলোকে ফটোকেমিক্যালভাবে সনাক্ত করার মাধ্যমে। ফটোপিগমেন্ট হলো এমন অণু যেগুলো একটি ফোটন ধরার সময় পরিবর্তিত হয় (এই প্রক্রিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত [[Sensory_Systems/Visual_System#Creation_of_the_initial_signals_-_Photosensor_Function|এখানে]] পাওয়া যাবে)। ভিজ্যুয়াল সিস্টেমে ব্যবহৃত ফটোপিগমেন্টগুলোকে ভিজ্যুয়াল পিগমেন্ট বলা হয়। বিভিন্ন ধরনের ভিজ্যুয়াল পিগমেন্ট রয়েছে এবং এদের বিভিন্ন শোষণ স্পেকট্রাম থাকে অর্থাৎ তারা আলোর বিভিন্ন রং সনাক্ত করতে পারে। রঙিন দর্শনসম্পন্ন প্রাণীদের একাধিক ভিজ্যুয়াল পিগমেন্ট প্রয়োজন বিভিন্ন স্পেকট্রাল সংবেদনশীলতার জন্য। তবে অধিকাংশ প্রাণীর এক ধরনের ভিজ্যুয়াল পিগমেন্টই অধিক মাত্রায় প্রকাশ পায়। এর একটি যুক্তিযুক্ত ব্যাখ্যা হলো সংবেদনশীলতা হাইপোথিসিস। এর একটি সম্ভাব্য বিবৃতি হতে পারে:
{{quote|
|text = "একটি নির্দিষ্ট প্রজাতির রড ভিজ্যুয়াল পিগমেন্ট প্রাকৃতিক পরিবেশে ফোটন গ্রহনের সর্বোচ্চ মাত্রা অর্জনের জন্য স্পেকট্রালভাবে স্থাপন করা হয়"
|sign= Cronin et al.
|source = Visual Ecology
}}
রডগুলো কম আলোতে দেখার জন্য দায়ী যেখানে উপলব্ধ আলো খুবই দুর্বল এবং উপলব্ধ আলোর প্রতি সংবেদনশীল থাকা জরুরি। এই হাইপোথিসিস গভীর সমুদ্রের প্রাণীদের ওপর গবেষণার সময় তৈরি হয়েছিল এবং সেখানে এটি ভালোমতো প্রযোজ্য। অন্য সকল আবাসস্থলের জন্য এটি কিছুটা সমস্যাযুক্ত।
====গভীর সমুদ্রে স্পেকট্রাল অভিযোজন====
[[File:Spectra at various daytimes.png|thumb|এই গ্রাফে দেখানো হয়েছে কিভাবে স্থলভিত্তিক আবাসস্থলে সময়ের সাথে স্পেকট্রাম পরিবর্তিত হতে পারে।]]
ডেন্টন এবং ওয়ারেনের পাশাপাশি ১৯৫৭ সালে মঞ্জের প্রাথমিক গবেষণায় দেখা গেছে গভীর সমুদ্রের প্রাণীদের ভিজ্যুয়াল পিগমেন্টের সর্বোচ্চ শোষণ ব্লু অংশে হয়। সাম্প্রতিক একটি গভীর সমুদ্র মাছের গবেষণায় রিপোর্ট করা হয়েছে সর্বোচ্চ শোষণ প্রায় ৪৮০ nm এর কাছাকাছি কেন্দ্রিত।<ref> {{Citation|author=Douglas et al. | year=2003 | title=Sensory Processing in Aquatic Environments | chapter=Spectral Sensitivity Tuning in the Deep-Sea }} </ref> এটি গভীর সমুদ্রের স্পেকট্রামের সাথে মিলে যায় যেখানে অনেক মিটার জল অন্য সকল তরঙ্গদৈর্ঘ্যকে ফিল্টার করে ফেলে। কেন গভীর সমুদ্রের চিংড়িগুলো প্রায় ৫০০ nm তরঙ্গদৈর্ঘ্যে সর্বোচ্চ শোষণ করে তা এখনও বোঝা যায়নি। <ref>{{Citation|author=Marshall et al. | year=2003 | title=Sensory Processing in Aquatic Environments | chapter=The design of color signals and color vision in fishes }} </ref>
মেরিন স্তন্যপায়ীরা স্থলভিত্তিক স্তন্যপায়ীদের তুলনায় অনেক বিস্তৃত তরঙ্গদৈর্ঘ্যের সর্বোচ্চ শোষণ দেখায়। যেখানে স্থলভিত্তিক স্তন্যপায়ীদের রড পিগমেন্ট প্রায় ৫০০ nm তরঙ্গদৈর্ঘ্যে সর্বোচ্চ শোষণ করে, সেখানে মেরিন স্তন্যপায়ীদের শোষণ ৪৮০ থেকে ৫০৫ nm এর মধ্যে পরিবর্তিত হয়। গভীরে খাদ্য সংগ্রহকারী প্রাণীদের ভিজ্যুয়াল পিগমেন্ট ব্লু রংয়ের দিকে সরানো থাকে (λ<sub>max</sub> ≤ ৪৯০ nm) এবং উপকূলীয় অঞ্চলে বসবাসকারী স্তন্যপায়ীদের λ<sub>max</sub> মান স্থলভিত্তিক প্রাণীদের কাছাকাছি থাকে।<ref>{{Citation|author=Fasick JI, Robinson PR. | year=2000 | title= Spectral-tuning mechanisms of marine mammal rhodopsins and correlations with foraging depth.}} </ref>
====বিভিন্ন আবাসস্থলের স্পেকট্রা====
{{multiple image
| header = পানির নিচের আবাসস্থলে রং
| direction = vertical
| width = 250
| footer = ১০ মিটার গভীরতার উপরে নেওয়া একটি প্রবাল প্রাচীরের ছবি। সংশোধিত ছবিটি দেখায় প্রবাল প্রাচীরটি ব্রড ডে-লাইটে কেমন দেখাতে পারে।
| image1 = Korallenriff ungefiltert.jpg
| alt1 = প্রবাল প্রাচীরের মূল ছবি (ঠান্ডা রং)
| caption1 = সংশোধনহীন ছবি, যেখানে রংয়ের তাপমাত্রা প্রায় ৬০০০ K
| image2 = Korallenriff.jpg
| alt2 = সংশোধিত প্রবাল প্রাচীরের ছবি (গরম রং)
| caption2 = সংশোধিত ছবি, যেখানে রংয়ের তাপমাত্রা প্রায় ৪২০০ K
}}
আবাসস্থলগুলো খুবই স্বতন্ত্র স্পেকট্রাম ধারণ করে। আলোর তীব্রতা ও স্পেকট্রাম গঠন পৃথিবীর ওপর প্রবেশের কোণের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হয়। বায়ুমণ্ডলের পাশাপাশি পানি ও গাছপালা প্রাকৃতিক ফিল্টার হিসেবে কাজ করে। জলের মধ্যে লাল রং দ্রুত ফিল্টার হয়ে যায় এবং নীল রং গভীরতর পৌঁছায়।<ref> {{citation | title= Underwater light field and spectral distribution of attenuation depth in inland and coastal waters| author= Tuuli Kauer, Helgi Arst, Lea Tuvikene | year=2010 | journal = Oceanologia}}</ref>
একই ধরনের প্রভাব দেখা যায় বনজঙ্গলের গাছপালায় যেখানে সবুজ উদ্ভিদ আলো ফিল্টার করে। পাতার মধ্যে দিয়ে যাওয়ার সময় সবুজ ছাড়া অন্য রংয়ের অংশগুলো প্রথমে ফিল্টার হয়ে যায় এবং উপরের অংশে (২৩ থেকে ১১ মিটার) সবুজ আলোই প্রধান থাকে। নিচে এক ধরনের দুর্বল আলো থাকে, যা প্রধানত মানুষের চোখে অদৃশ্য নিকট-ইনফ্রারেড রশ্মি দ্বারা দখল করা থাকে।<ref> {{citation | author = De Castro, Francisco | year = 1999 | title = Light spectral composition in a tropical forest: measurements and model | journal = tree physiology}} </ref>
====সংবেদনশীলতা অনুমান সম্পর্কিত সমস্যা====
গভীর সাগরের বাইরে অন্য যে কোনো আবাসস্থলের জন্য সংবেদনশীলতা অনুমান যথেষ্ট নয়। পরিষ্কার পানির উপরের অংশের পরিবেশের স্পেকট্রাম অনুযায়ী ভিজ্যুয়াল পিগমেন্টের সর্বোচ্চ শোষণ তরঙ্গদৈর্ঘ্য বেশি হওয়া উচিত, কিন্তু বাস্তবে এমন হয় না। কোনও সরিসৃপ এর রডের সর্বোচ্চ শোষণ ৫২৫ nm এর বেশি তরঙ্গদৈর্ঘ্যে দেখা যায় না, যদিও উচ্চ তরঙ্গদৈর্ঘ্যের আলো তীব্রতা ক্রমাগত বৃদ্ধি পায়। অধিকাংশ রডের শোষণ প্রায় ৫০০ nm বা তার কমে শিখরযুক্ত। এমনকি রাতের বেলায় সক্রিয় কিছু কীটপতঙ্গেরও শোষণ শিখর ৫৪৫ nm এর বেশি নয়।
একটি সম্ভাব্য কারণ হলো, উচ্চ তরঙ্গদৈর্ঘ্যের আলো সনাক্ত করার জন্য ব্যবহৃত ভিজ্যুয়াল পিগমেন্টগুলো কম নির্ভরযোগ্য কারণ তাদের কম তাপীয় সক্রিয়তার সীমা। ফলে, এগুলো তাপীয় শব্দে বেশি সংবেদনশীল। তাপীয় শব্দ ভিজ্যুয়াল সিস্টেমের সীমাবদ্ধতা হিসেবে কাজ করতে পারে — এই ধারণা ঠাণ্ডা রক্তবিশিষ্ট জলজ উভচর প্রাণীদের উপর করা পরীক্ষা দ্বারা সমর্থিত। ব্যাঙ ও তোয়াদ মানুষের তুলনায় কম আলোতে অধিক কার্যকর এবং তাপমাত্রা বৃদ্ধির সঙ্গে তাদের কার্যকারিতা কমে, যা প্রাণীর সর্বনিম্ন পর্যবেক্ষণযোগ্য তীব্রতা ও রেটিনার তাপীয় আইসোমারাইজেশন রেট (অর্থাৎ কতবার ভিজ্যুয়াল পিগমেন্ট তাপীয় আন্দোলনের কারণে ট্রিগার হয়, আলো থেকে নয়) এর মধ্যে একটি একরৈখিক সম্পর্ক নির্দেশ করে। <ref> {{citation | author =Aho et al. | title = Low retinal noise in animals with low body temperature allows high visual sensitivity | journal = Nature | year = 1988}} </ref>
===সত্যিকারের চোখের মৌলিক নকশা মূলনীতি===
একটি চোখকে "সত্যিকারের চোখ" ধরা হয় যদি এটি স্থানীয় দৃষ্টিশক্তি সক্ষম হয়, অর্থাৎ এটি কিছু রকমের স্থানীয় রেজোলিউশন এবং চিত্রায়ন করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, একটি চোখ স্পট — যা একটি সরল ফোটোরিসেপ্টর প্যাচ — তা সত্যিকারের চোখ নয় কারণ এটি শুধুমাত্র আলো উপস্থিতি সনাক্ত করতে পারে, তবে এর উৎস সঠিকভাবে নির্ণয় করতে পারে না, কেবলমাত্র একটি আনুমানিক দিক নির্দেশ করতে পারে। এই ধরনের চোখগুলোরও ব্যবহার আছে: একটি মাটির নিচে থাকা প্রাণী যখন পৃথিবীর পৃষ্ঠে উঠে আসে তা সনাক্ত করতে পারে, অথবা একজন প্রাণী জানতেপারে সে ছায়ার মধ্যে ঢুকেছে বা বের হয়েছে, কিংবা এটি বিপজ্জনক মাত্রার অতিবেগুনি রশ্মি সনাক্ত করার জন্য ব্যবহার করতে পারে।<ref> {{citation | author=Nilsson, DE | title=Eye evolution and its functional basis |year=2013 | journal=Visual Neuroscience}} </ref>
পরবর্তী আলোচনায় আমরা সত্যিকারের চোখ নিয়ে কাজ করব। সব সত্যিকারের চোখের রেটিনায় ফোটোরিসেপ্টর নির্দিষ্ট অবস্থানে থাকে এবং তারা আশপাশের পৃথিবীর একটি সুনির্দিষ্ট অংশ থেকে আলো গ্রহণ করে। এর মানে প্রতিটি ফোটোরিসেপ্টর একটি পিক্সেলের মতো কাজ করে। ফোটোরিসেপ্টর যে স্থান থেকে আলো গ্রহণ করে তা সীমাবদ্ধ করতে, সব সত্যিকারের চোখে একটি অ্যাপারচার বা পিউপিল থাকে।
একটি প্রাণীর চোখের আকার তার জৈবিক শক্তি চাহিদার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় — বড় চোখের যত্ন-নিয়ন্ত্রণে বেশি খরচ হয়। নির্দিষ্ট আকারের চোখে রেজোলিউশন এবং সংবেদনশীলতার মধ্যে অবশ্যম্ভাবীভাবে একটি সমঝোতা থাকে। উচ্চ রেজোলিউশন ভিশনের জন্য ছোট এবং ঘন পিক্সেল/ফোটোরিসেপ্টর দরকার, যেগুলো কম আলোর তীব্রতায় বেশি শব্দ সংবেদনশীল হয়। এজন্য একটি রাত্রিকালীন প্রাণী হয়তো এমন পিক্সেল বিকশিত করবে যা তুলনামূলক বড় আকারের এবং বেশি আলো ধরে, যদিও এর ফলে রেজোলিউশন কমে যায়।
====সংবেদনশীলতাকে সীমাবদ্ধকারী শব্দের ধরণগুলি====
বহিরাগত এবং অভ্যন্তরীণ শব্দের বিভিন্ন ধরণ রয়েছে।
'''[https://en.wikipedia.org/wiki/Shot_noise শট নয়েজ]''' আলোর কণার প্রকৃতির কারণে, একটি ফোটোরিসেপ্টরে পৌঁছানো ফোটনের সংখ্যা একটি পোয়াসঁ প্রক্রিয়া হিসেবে বর্ণনা করা যায়, যার সংকেত থেকে শব্দ অনুপাত (SNR) হয়:
<math>\mathrm{SNR} = \frac{N}{\sqrt{N}} = {\sqrt {N}}. , </math>
এখানে N হল গড় ইনসিডেন্ট ফোটনের সংখ্যা এবং <math> \sqrt{N} </math> হল স্ট্যান্ডার্ড ডিভিয়েশন। মানুষের চোখ মাত্র ৫ থেকে ১৫ ফোটনও অনুভব করতে সক্ষম<ref> {{citation | author =Pirenne, M.H. | title= Vision and the Eye | year=1948 | publisher = Chapman and Hall, Ltd.}} </ref>, কিন্তু আলো উৎসের অস্তিত্ব ছাড়া অন্য কোনো বৈশিষ্ট্য দেখা সম্ভব নয়। ডি ভ্রিস-রোজ স্কয়ার আইন বর্ণনা করে কিভাবে কনট্রাস্ট SNR এর সাথে বাড়ে। <ref> {{citation| author = Rose, A. | title=The Sensitivity Performance of the Human Eye on an Absolute Scale | journal = Journal of the Optical Society of America| year=1948}} </ref> এর অর্থ, সবচেয়ে ন্যূনতম কনট্রাস্ট যা অনুভব করা যায় তা শট নয়েজ দ্বারা নির্ধারিত।
'''ট্রান্সডিউসার নয়েজ'''
ফোটোরিসেপ্টর প্রতিটি শোষিত ফোটনের জন্য সমান বৈদ্যুতিক সংকেত দিতে অক্ষম।<ref> {{citation | author= P. G. Lillywhite & S. B. Laughlin | title= Transducer noise in a photoreceptor | year =1980 | journal = Nature}} </ref>
'''অন্ধকার বা তাপীয় শব্দ'''
আগেই আলোচনা করা হয়েছে, শব্দের আরেকটি উৎস হল ফোটনের সংকেত প্রক্রিয়াকরণে সংশ্লিষ্ট বায়োরাসায়নিক পথের তাপীয় এলোমেলো সক্রিয়তা। বেইলর এবং তার সহকর্মীরা অন্ধকার শব্দের দুটি উপাদান শনাক্ত করেন: একটি ক্ষুদ্র ধারাবাহিক ওঠানামা এবং ফোটনের আগমনের সঙ্গে অনির্দেশ্যভাবে মিল রেখে ঘটে যাওয়া ঘটনাসদৃশ স্পাইক, যা একটি ভিজ্যুয়াল পিগমেন্টের তাপীয় সক্রিয়তার কারণে ঘটে থাকে।<ref> {{citation | author= Baylor et al | title= Two components of electrical dark noise in toad retinal rod outer segments | year =1979 | journal = Journal of Physiology}} </ref>
====সংবেদনশীলতার সূত্র====
একটি চোখের অপটিক্যাল সংবেদনশীলতা (S) নিরূপণ করতে তিনটি উপাদানকে গুণ করতে হয়: পিউপিলের ক্ষেত্রফল, ফোটোরিসেপ্টরের দেখা কঠিন কোণ এবং শোষিত আলোর ভগ্নাংশ।<ref name="warrant1998"> {{ citation | author =Warrant EJ, Nilsson DE | title=Absorption of white light in photoreceptors |year=1998|journal=Vision Research}} </ref>
<math> S = \frac{\pi}{4} A^2 \cdot \frac{\pi}{4} \frac{d^2}{f^2} \cdot \frac{kl}{2.3+kl} \quad \text{(বিস্তৃত তরঙ্গদৈর্ঘ্যের জন্য)}</math>
এখানে A হল অ্যাপারচারের ব্যাস, f হল চোখের ফোকাল দৈর্ঘ্য, এবং d, l ও k যথাক্রমে ফোটোরিসেপ্টরের ব্যাস, দৈর্ঘ্য ও শোষণ সহগ। উপরোক্ত সমীকরণে শোষিত আলোর ভগ্নাংশ দিনের আলোর (ব্রড-স্পেকট্রাম) জন্য হিসাব করা হয়েছে। গভীর সমুদ্রে আলো প্রধানত ৪৮০ nm তরঙ্গদৈর্ঘ্যের মনোক্রোম্যাটিক নীল আলো, তাই সেখানে ভগ্নাংশের পরিবর্তে সরাসরি শোষণ ব্যবহার করা যায়।<ref name="warrant1998" />
<math> S = \frac{\pi}{4} A^2 \cdot \frac{\pi}{4} \frac{d^2}{f^2} \cdot (1-e^{-kl}) \quad \text{(মনোক্রোমোটিক)}</math>
শোষণ সহগ k নির্দেশ করে, প্রতি একক দৈর্ঘ্যে একটি ফোটোরিসেপ্টর কতটুকু আলো শোষণ করে। ওয়ারেন্ট এবং নিলসন (১৯৯৮) বিভিন্ন প্রাণীর জন্য k এর মান দিয়েছেন, যেমন: গৃহমাছির জন্য 0.005 μm⁻¹, গভীর সমুদ্রের মাছের জন্য 0.064 μm⁻¹, আর মানুষের রড কোষের জন্য 0.028 μm⁻¹। আশ্চর্যের বিষয়, তিনি লক্ষ্য করেন যে, একই আলোর তীব্রতায় বসবাসকারী অমেরুদণ্ডী প্রাণীদের তুলনায় মেরুদণ্ডী প্রাণীদের k এর মান প্রায় পাঁচগুণ বেশি।
{| class="wikitable" style="margin: 1em auto 1em auto;"
|+ '''অন্ধকারে অভিযোজিত চোখের অপটিক্যাল সংবেদনশীলতা ও ফোটোরিসেপ্টর গ্রহণ কোণ'''
|-
! প্রজাতি !! প্রাণী !! চোখের ধরন !! A (μm) !! d (μm) !! f (μm) !! l (μm) !! S (μm<sup>2</sup> sr) !! Δρ (°)
|-
| সিরোলানা || আইসোপড || নিম্ন-মেসোপেলাজিক অ্যাপোজিশন || ১৫০ || ৯০ || ১০০ || ৯০ || ৫,০৯২ c || ৫২
|-
| অপলোফোরাস || চিংড়ি || মেসোপেলাজিক সুপারপজিশন || ৬০০ || ২০০ b || ২২৬ || ২০০ b || ৩,৩০০ c || ৮.১
|-
| ডিনোপিস || মাকড়সা || নিশাচর ক্যামেরা e || ১,৩২৫ || ৫৫ || ৭৭১ || ৫৫ || ১০১ || ১.৫
|-
| ডেইলিফিলা || হক মথ || নিশাচর সুপারপজিশন || ৯৩৭ d || ৪১৪ b || ৬৭৫ || ৪১৪ b || ৬৯ || ০.৯
|-
| ওনাইটিস আইগুলাস || গো-মাছা || নিশাচর সুপারপজিশন || ৮৪৫ || ৮৬ || ৫০৩ || ৮৬ || ৫৮.৯ || ৩.৩
|-
| এফেস্টিয়া || মথ || নিশাচর সুপারপজিশন || ৩৪০ || ১১০ b || ১৭০ || ১১০ b || ৩৮.৪ || ২.৭
|-
| ম্যাক্রোগ্লোসাম || হক মথ || দিবাচর সুপারপজিশন || ৫৮১ d || ৩৬২ b || ৪০৯ || ৩৬২ b || ৩৭.৯ || ১.১
|-
| অক্টোপাস || অক্টোপাস || এপিপেলাজিক ক্যামেরা || ৮,০০০ || ২০০ || ১০,০০০ || ২০০ || ৪.২ c || ০.০২
|-
| পেক্টেন || স্ক্যালপ || উপকূলীয় অবতল দর্পণ || ৪৫০ || ১৫ || ২৭০ || ১৫ || ৪ || ১.৬
|-
| মেগালোপ্টা || সুইট মৌমাছি || নিশাচর অ্যাপোজিশন || ৩৬ || ৩৫০ || ৯৭ || ৩৫০ || ২.৭ || ৪.৭
|-
| বুফো || টোড || নিশাচর ক্যামেরা || ৫,৫৫০ || ৫৪ || ৪,৭১৪ || ৫৪ || ২.৪১ || ০.০৩
|-
| আর্কিটুথিস || স্কুইড || নিম্ন-মেসোপেলাজিক ক্যামেরা || ৯০,০০০ || ৬৭৭ || ১১২,৫০০ a || ৬৭৭ || ২.৩ c || ০.০০২
|-
| ওনাইটিস বেলিয়াল || গো-মাছা || দিবাচর সুপারপজিশন || ৩০৯ || ৩২ || ৩৩৮ || ৩২ || ১.৯ || ১.১
|-
| প্ল্যানারিয়া || ফ্ল্যাটওয়ার্ম || রঞ্জক কাপ || ৩০ || ৬ || ২৫ || ৬ || ১.৫ || ২২.৯
|-
| হোমো || মানব || দিবাচর ক্যামেরা || ৮,০০০ || ৩০ || ১৬,৭০০ || ৩০ || ০.৯৩ || ০.০১
|-
| লিটোরিনা || সামুদ্রিক শামুক || উপকূলীয় ক্যামেরা || ১০৮ || ২০ || ১২৬ || ২০ || ০.৪ || ১.৮
|-
| ভানাদিস || সামুদ্রিক কৃমি || উপকূলীয় ক্যামেরা || ২৫০ || ৮০ || ১,০০০ || ৮০ || ০.২৬ || ০.৩
|-
| এপিস || মৌমাছি || দিবাচর অ্যাপোজিশন || ২০ || ৩২০ || ৬৬ || ৩২০ || ০.১ || ১.৭
|-
| ফিডিপ্পাস || মাকড়সা || দিবাচর ক্যামেরা f || ৩৮০ || ২৩ || ৭৬৭ || ২৩ || ০.০৩৮ || ০.২
|-
|+ S = সংবেদনশীলতা, Δρ = ফোটোরিসেপ্টর গ্রহণ কোণ (উল্লেখিত সমীকরণ থেকে), A = অ্যাপারচারের ব্যাস; d ও l = ফোটোরিসেপ্টরের ব্যাস ও দৈর্ঘ্য; f = ফোকাল দৈর্ঘ্য। উৎস: *ভিজ্যুয়াল ইকোলজি* (২০১৪)
|}
== নোটসমূহ ==
S-এর একক হলো μm<sup>2</sup> sr। Δρ নিচের সমীকরণ ব্যবহার করে নিরূপণ করা হয়েছে এবং এর একক ডিগ্রি। চোখের ধরনগুলোর সম্পূর্ণ বর্ণনার জন্য অধ্যায় ৫ দেখুন।
* a: ফোকাল দৈর্ঘ্য গণনা করা হয়েছে ম্যাথিয়েসেন অনুপাত ব্যবহার করে: f = 1.25 A
* b: র্যাবডম দৈর্ঘ্য দ্বিগুণ ধরা হয়েছে কারণ সেখানে একটি ট্যাপেটাম বিদ্যমান।
* c: S গণনা করা হয়েছে k = 0.0067 μm<sup>–1</sup> দিয়ে, মনোক্রোম্যাটিক আলোর জন্য প্রযোজ্য সমীকরণ ব্যবহার করে। অন্যান্য সকল মান ব্রড-স্পেকট্রাম আলোর জন্য ব্যবহৃত সমীকরণ দিয়ে নিরূপণ করা হয়েছে।
* d: মান নেওয়া হয়েছে সম্মুখ চোখ থেকে।
* e: পশ্চাৎ-মধ্য (PM) চোখ।
* f: অগ্র-পার্শ্ব (AL) চোখ।
উৎস: *ভিজ্যুয়াল ইকোলজি*, ২০১৪।
== রেজোলিউশন সীমাবদ্ধকারী উপাদানসমূহ ==
ফোটোরিসেপ্টরের রিসেপ্টিভ ফিল্ডের আকার আনুমানিকভাবে নির্ণয় করা যায় নিচের সমীকরণ দিয়ে:<ref name = "ve2014"/>
<math> \Delta \rho = \frac{d}{f} </math>
এখানে d হলো ফোটোরিসেপ্টরের ব্যাস এবং f হলো ফোকাল দৈর্ঘ্য। এই সমীকরণ থেকে বোঝা যায়, বড় চোখে ভালো রেজোলিউশন পাওয়া সম্ভব, কারণ এর ফোকাল দৈর্ঘ্য বেশি হলেও ফোটোরিসেপ্টরের আকার একই থাকে। মূলত, রেটিনায় যত বেশি ফোটোরিসেপ্টর সংযুক্ত করা যায়, রেজোলিউশন তত উন্নত হয়। শিকারি পাখিদের দৃষ্টিশক্তি মানুষের চেয়ে অনেক বেশি সূক্ষ্ম। উদাহরণস্বরূপ, ঈগলের চোখ মানুষের চোখের মতোই বড়, অর্থাৎ শরীরের তুলনায় অনেক বড়, এবং তাতে ফোটোরিসেপ্টরের ঘনত্বও অনেক বেশি।
তবে আরও কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। ফটোগ্রাফির মতো, চোখের লেন্সেও বিভিন্ন ধরনের ত্রুটি দেখা যায়।
'''[https://en.wikipedia.org/wiki/Diffraction বিচ্ছুরণ]''' চিত্রকে ঝাপসা করে তোলে। একটি বিন্দুযুক্ত আলোর উৎস (যেমন, রাতের আকাশের একটি তারা) একটি বৃহৎ বিন্দু হিসেবে দেখা যায়, যার চারপাশে ক্ষীণ বৃত্ত থাকে। এই চিত্রকে *এয়ারি ডিস্ক* বলা হয়। এই ঝাপসা দৃষ্টি তখন ঘটে যখন আলোর উৎস থেকে আসা আলো একাধিক ফোটোরিসেপ্টরে পড়ে।<ref name="birdybird"> {{citation | author=Jones et al. | title= Avian Vision: A Review of Form and Function with Special Consideration to Birds of Prey| journal=Journal of Exotic Pet Medicine| year=2007}} </ref>
[[File:Airy-pattern.svg|thumb|কম্পিউটারে তৈরি একটি এয়ারি ডিস্কের চিত্র। বাইরের বলয়ের উজ্জ্বলতা বাড়ানোর জন্য গ্রেস্কেল ইনটেনসিটি সমন্বয় করা হয়েছে।]]
'''[https://en.wikipedia.org/wiki/Chromatic_aberration বর্ণবিচ্ছিন্ন ত্রুটি]''' প্রতিসরণ সূচক *n* হলো তরঙ্গদৈর্ঘ্যের একটি ফাংশন। এর মানে হলো, একটি লেন্স সব তরঙ্গদৈর্ঘ্যের আলোকে একই বিন্দুতে কেন্দ্রীভূত করতে পারে না। কিছু মাকড়সা এই বৈশিষ্ট্যকে গভীরতা অনুধাবনের জন্য ব্যবহার করতে অভিযোজিত হয়েছে। জাম্পিং স্পাইডারের রেটিনায় চারটি স্তর থাকে, যেগুলোর প্রতিটিতে ভিন্ন তরঙ্গদৈর্ঘ্যের আলো ফোকাস হয়। নাগাতা প্রমুখ গবেষণায় দেখতে পান যে সবুজ ফোটোরিসেপ্টর সবচেয়ে গভীর এবং দ্বিতীয় গভীর স্তর উভয়তেই উপস্থিত, যদিও সবুজ আলো সবচেয়ে গভীর স্তরে ফোকাস হয়। এর ফলে, দ্বিতীয় গভীর স্তরে সবুজ চিত্র সর্বদা অস্পষ্ট থাকে। এই স্তরগুলোর মধ্যে মিল না থাকাকে কাজে লাগিয়ে জাম্পিং স্পাইডার গভীরতা উপলব্ধি করতে সক্ষম হয়।<ref> {{citation| author = Nagata | title=Depth perception from image defocus in a jumping spider.|year=2012|journal=Science}} </ref>
কিছু মাছ এই বর্ণবিচ্ছিন্ন ত্রুটিকে কাটিয়ে উঠতে বহুফোকাল লেন্সের অভিযোজন ঘটিয়েছে।<ref>{{citation | author=Kröger et al. |title=Multifocal lenses compensate for chromatic defocus in vertebrate eyes.|year=1999|Journal of Computational Physiology}}</ref>
'''[https://en.wikipedia.org/wiki/Spherical_aberration গোলীয় ত্রুটি]''' বাস্তব লেন্সগুলো সমান্তরাল আলোকে একটি বিন্দুতে ফোকাস করতে পারে না, ফলে গোলীয় ত্রুটি নামে একটি সমস্যা দেখা দেয়। এই সমস্যাকে মোকাবিলা করতে যেসব অভিযোজন ঘটেছে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে অ-গোলীয় লেন্স (যদিও এতে অন্য সমস্যা সৃষ্টি হয়) এবং ধাপে পরিবর্তিত প্রতিসরণ সূচকযুক্ত লেন্স।
আরও একটি সমস্যা আছে যেটা এখানে আলোচনা করা হয়নি, তা হলো ফোটোরিসেপ্টরগুলোর মধ্যে অপটিকাল ক্রস টক।
== তথ্যসূত্র ==
{{সূত্র তালিকা}}
{{BookCat}}
9n2l554kwnpfs9nokjh5peqbbmjfi60
রন্ধনপ্রণালী:পুঁটিমাছ ভুনা
104
24622
84516
84345
2025-06-17T00:40:21Z
Mehedi Abedin
7113
84516
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = মাছের পদ
| পরিবেশন = ৩–৪ জন
| তৈরির সময় = ১ ঘণ্টা
| কষ্টসাধ্য = 2
| খাদ্য শক্তি = মাঝারি
| টীকা = গ্রামবাংলার অতি পরিচিত ও জনপ্রিয় একটি পদ যা বিশেষ করে ভাতের সাথে খেতে অপূর্ব লাগে।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''পুঁটিমাছ ভুনা'''</big></center>
পুঁটিমাছ বাংলাদেশের নদী-নালা খাল-বিলে পাওয়া ছোট মাছগুলোর মধ্যে অন্যতম। এই মাছ সাধারণত ভাজি বা তরকারিতে ব্যবহৃত হলেও, ঘন মসলা দিয়ে ভুনা করে পরিবেশন করলে তা এক অনন্য স্বাদ তৈরি করে। পুঁটিমাছ ভুনা তৈরি করা খুব জটিল না হলেও এতে যত্ন, ধৈর্য ও ভালো কষানোর প্রয়োজন হয়।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! উপাদান !! পরিমাণ
|-
| পুঁটিমাছ || ৫০০ গ্রাম
|-
| পেঁয়াজ কুচি || ১ কাপ
|-
| আদা বাটা || ১ টেবিল চামচ
|-
| রসুন বাটা || ১ টেবিল চামচ
|-
| কাঁচা মরিচ || ৫–৬টি (ফালি করা)
|-
| শুকনা মরিচ গুঁড়া || ১ চা চামচ
|-
| হলুদ গুঁড়া || ১/২ চা চামচ
|-
| ধনে গুঁড়া || ১ চা চামচ
|-
| লবণ || পরিমাণমতো
|-
| সরিষার তেল || ১/২ কাপ
|-
| ধনেপাতা কুচি || সামান্য
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# পুঁটিমাছ ভালোভাবে ধুয়ে লবণ ও সামান্য হলুদ মাখিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিন।
# কড়াইয়ে সরিষার তেল গরম করে মাছগুলো হালকা ভেজে তুলে রাখুন।
# এখন তেলেই পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভাজুন যতক্ষণ না তা সোনালি হয়।
# এতে আদা, রসুন বাটা, শুকনা মরিচ, ধনে ও হলুদ গুঁড়া দিন এবং কিছুক্ষণ কষান।
# মসলা থেকে তেল ছাড়লে ভাজা পুঁটিমাছ ও কাঁচা মরিচ দিয়ে দিন। খুব সাবধানে নাড়াচাড়া করুন যাতে মাছ ভেঙে না যায়।
# অল্প পানি দিন ও ঢেকে দিন। মাঝারি আঁচে ৮–১০ মিনিট রান্না করুন।
# পানি শুকিয়ে গেলে ধনেপাতা কুচি ছড়িয়ে দিয়ে নামিয়ে নিন।
== পরিবেশন ==
পুঁটিমাছ ভুনা সাদা ভাতের সঙ্গে খেতে দারুণ। চাইলে গরম ভাতে ঘি বা সরষের তেল মিশিয়ে এই মাছ পরিবেশন করলে স্বাদ আরও বেড়ে যায়।
== পরামর্শ ==
* মাছ ছোট হওয়ায় এটি রান্না করতে সময় কম লাগে, কিন্তু মসলা যেন ঠিকভাবে কষানো হয় তা খেয়াল রাখতে হবে।
* তেল ও মসলা কম দিলে স্বাদ ঠিকমতো আসবে না। তবে অতিরিক্ত তেল দিলে তা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
* এই মাছ খুব নরম, রান্নার সময় বেশি নেড়েচেড়ে ভাঙবেন না।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:মাছের পদ]]
[[Category:বাংলাদেশী খাবার]]
[[Category:গ্রামবাংলার খাবার]]
nipdaiz21p4gtut38n5sby26qg5h37v
84517
84516
2025-06-17T00:40:48Z
Mehedi Abedin
7113
84517
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = মাছের পদ
| পরিবেশন = ৩–৪ জন
| তৈরির সময় = ১ ঘণ্টা
| কষ্টসাধ্য = 2
| খাদ্য শক্তি = মাঝারি
| টীকা = গ্রামবাংলার অতি পরিচিত ও জনপ্রিয় একটি পদ যা বিশেষ করে ভাতের সাথে খেতে অপূর্ব লাগে।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''পুঁটিমাছ ভুনা'''</big></center>
পুঁটিমাছ বাংলাদেশের নদী-নালা খাল-বিলে পাওয়া ছোট মাছগুলোর মধ্যে অন্যতম। এই মাছ সাধারণত ভাজি বা তরকারিতে ব্যবহৃত হলেও, ঘন মসলা দিয়ে ভুনা করে পরিবেশন করলে তা এক অনন্য স্বাদ তৈরি করে। পুঁটিমাছ ভুনা তৈরি করা খুব জটিল না হলেও এতে যত্ন, ধৈর্য ও ভালো কষানোর প্রয়োজন হয়।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! উপাদান !! পরিমাণ
|-
| পুঁটিমাছ || ৫০০ গ্রাম
|-
| পেঁয়াজ কুচি || ১ কাপ
|-
| আদা বাটা || ১ টেবিল চামচ
|-
| রসুন বাটা || ১ টেবিল চামচ
|-
| কাঁচা মরিচ || ৫–৬টি (ফালি করা)
|-
| শুকনা মরিচ গুঁড়া || ১ চা চামচ
|-
| হলুদ গুঁড়া || ১/২ চা চামচ
|-
| ধনে গুঁড়া || ১ চা চামচ
|-
| লবণ || পরিমাণমতো
|-
| সরিষার তেল || ১/২ কাপ
|-
| ধনেপাতা কুচি || সামান্য
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# পুঁটিমাছ ভালোভাবে ধুয়ে লবণ ও সামান্য হলুদ মাখিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিন।
# কড়াইয়ে সরিষার তেল গরম করে মাছগুলো হালকা ভেজে তুলে রাখুন।
# এখন তেলেই পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভাজুন যতক্ষণ না তা সোনালি হয়।
# এতে আদা, রসুন বাটা, শুকনা মরিচ, ধনে ও হলুদ গুঁড়া দিন এবং কিছুক্ষণ কষান।
# মসলা থেকে তেল ছাড়লে ভাজা পুঁটিমাছ ও কাঁচা মরিচ দিয়ে দিন। খুব সাবধানে নাড়াচাড়া করুন যাতে মাছ ভেঙে না যায়।
# অল্প পানি দিন ও ঢেকে দিন। মাঝারি আঁচে ৮–১০ মিনিট রান্না করুন।
# পানি শুকিয়ে গেলে ধনেপাতা কুচি ছড়িয়ে দিয়ে নামিয়ে নিন।
<span style=color:red;><center>'''সাদা ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন।'''</center></span>
== পরামর্শ ==
* মাছ ছোট হওয়ায় এটি রান্না করতে সময় কম লাগে, কিন্তু মসলা যেন ঠিকভাবে কষানো হয় তা খেয়াল রাখতে হবে।
* তেল ও মসলা কম দিলে স্বাদ ঠিকমতো আসবে না। তবে অতিরিক্ত তেল দিলে তা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
* এই মাছ খুব নরম, রান্নার সময় বেশি নেড়েচেড়ে ভাঙবেন না।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:মাছের পদ]]
[[Category:বাংলাদেশী খাবার]]
[[Category:গ্রামবাংলার খাবার]]
0sl42jz5fs1sa4gc423d8y73ch2pojv
রন্ধনপ্রণালী:লাউ খোয়া
104
24653
84514
84368
2025-06-17T00:39:17Z
Mehedi Abedin
7113
84514
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = মিষ্টান্ন
| পরিবেশন = ৬–৭ জন
| তৈরির সময় = ১ ঘণ্টা ১৫ মিনিট
| কষ্টসাধ্য = ৩
| খাদ্য শক্তি = মাঝারি
| টীকা = ঐতিহ্যবাহী মিষ্টান্ন, যা সাধারণত উৎসব, অতিথি আপ্যায়ন কিংবা বিশেষ উপলক্ষে পরিবেশিত হয়। এতে লাউ ও খোয়া ক্ষীরের নিপুণ সংমিশ্রণ রয়েছে, যা স্বাদে মৃদু ও হৃদয়গ্রাহী।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''লাউ খোয়া'''</big></center>
লাউ খোয়া বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে জনপ্রিয় একটি মিষ্টান্ন, যা খোসা ছাড়ানো ও কোরানো লাউ থেকে প্রস্তুত করা হয়। এরপর খোয়া ক্ষীর ও চিনি দিয়ে ধীরে ধীরে রান্না করে এই স্বাদের পদটি তৈরি করা হয়। অনেক সময় এলাচ, ঘি ও কাজু বাদাম দিয়ে এর স্বাদ আরও সমৃদ্ধ করা হয়। এটি ঠান্ডা বা উষ্ণ, দুইভাবেই পরিবেশনযোগ্য এবং অনেকেই অতিথি আপ্যায়নে এটি পছন্দ করেন।
== উপকরণ ==
{|class="wikitable"
! নাম !! পরিমাণ
|-
| মাঝারি আকৃতির লাউ (খোসা ছাড়ানো ও ঘষা) || ১টি (প্রায় ৫–৬ কাপ)
|-
| খোয়া ক্ষীর || ১ কাপ
|-
| ঘন দুধ || ১ কাপ
|-
| চিনি || ৩/৪ কাপ (পছন্দ অনুসারে কম-বেশি করা যায়)
|-
| ঘি || ২ টেবিল চামচ
|-
| এলাচ গুঁড়ো || ১/২ চা চামচ
|-
| কাজু বাদাম ও কিশমিশ (ঐচ্ছিক) || পরিমাণমতো
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# প্রথমে লাউটি ভালোভাবে ধুয়ে খোসা ছাড়িয়ে পাতলা করে গ্রেট করে নিন।
# একটি কড়াইয়ে ঘি গরম করে তাতে কোরানো লাউ দিন এবং মাঝারি আঁচে নাড়তে থাকুন।
# লাউ থেকে পানি ছাড়বে, ধীরে ধীরে তা শুকিয়ে গেলে তাতে দুধ দিন এবং মাঝেমধ্যে নাড়তে থাকুন যাতে লেগে না যায়।
# দুধ ফুটে আসলে এতে খোয়া ক্ষীর ও চিনি যোগ করুন। আঁচ কমিয়ে ধীরে ধীরে নাড়তে থাকুন যতক্ষণ না মিশ্রণটি ঘন হয় এবং কড়াই ছেড়ে দেয়।
# এরপর এলাচ গুঁড়ো ছিটিয়ে দিন এবং চাইলে ভাজা কাজু ও কিশমিশ মিশিয়ে দিন।
# কিছুক্ষণ দমে রাখুন। ঠান্ডা হলে পরিবেশন করুন।
== পরিবেশন ==
লাউ খোয়া ঠান্ডা অবস্থায় পরিবেশন করাই উত্তম। এটি সাধারণত মাটির পাত্রে বা ছোট বাটিতে পরিবেশন করা হয়। অতিথি আপ্যায়নে বা উৎসবের মিষ্টান্ন টেবিলে এটি বিশেষ মর্যাদা পায়।
== পরামর্শ ==
* লাউ ঘষার পরে হালকা করে চেপে পানি ঝরিয়ে নিলে রান্নার সময় অতিরিক্ত জলাশয় তৈরি হয় না।
* ঘন দুধের পরিবর্তে কনডেন্সড মিল্ক ব্যবহার করলেও রেসিপি দ্রুত সম্পন্ন হয় এবং মিষ্টতা বৃদ্ধি পায়।
* ঘি যেন পোড়া না যায়, তাই তাপমাত্রা সবসময় নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:মিষ্টান্ন]]
[[Category:বাংলাদেশী ঐতিহ্যবাহী খাবার]]
[[Category:লাউজাতীয় পদ]]
tf1lwtid6pu9411laait7t8hu1p0pdl
84515
84514
2025-06-17T00:39:47Z
Mehedi Abedin
7113
84515
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = মিষ্টান্ন
| পরিবেশন = ৬–৭ জন
| তৈরির সময় = ১ ঘণ্টা ১৫ মিনিট
| কষ্টসাধ্য = ৩
| খাদ্য শক্তি = মাঝারি
| টীকা = ঐতিহ্যবাহী মিষ্টান্ন, যা সাধারণত উৎসব, অতিথি আপ্যায়ন কিংবা বিশেষ উপলক্ষে পরিবেশিত হয়। এতে লাউ ও খোয়া ক্ষীরের নিপুণ সংমিশ্রণ রয়েছে, যা স্বাদে মৃদু ও হৃদয়গ্রাহী।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''লাউ খোয়া'''</big></center>
লাউ খোয়া বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে জনপ্রিয় একটি মিষ্টান্ন, যা খোসা ছাড়ানো ও কোরানো লাউ থেকে প্রস্তুত করা হয়। এরপর খোয়া ক্ষীর ও চিনি দিয়ে ধীরে ধীরে রান্না করে এই স্বাদের পদটি তৈরি করা হয়। অনেক সময় এলাচ, ঘি ও কাজু বাদাম দিয়ে এর স্বাদ আরও সমৃদ্ধ করা হয়। এটি ঠান্ডা বা উষ্ণ, দুইভাবেই পরিবেশনযোগ্য এবং অনেকেই অতিথি আপ্যায়নে এটি পছন্দ করেন।
== উপকরণ ==
{|class="wikitable"
! নাম !! পরিমাণ
|-
| মাঝারি আকৃতির লাউ (খোসা ছাড়ানো ও ঘষা) || ১টি (প্রায় ৫–৬ কাপ)
|-
| খোয়া ক্ষীর || ১ কাপ
|-
| ঘন দুধ || ১ কাপ
|-
| চিনি || ৩/৪ কাপ (পছন্দ অনুসারে কম-বেশি করা যায়)
|-
| ঘি || ২ টেবিল চামচ
|-
| এলাচ গুঁড়ো || ১/২ চা চামচ
|-
| কাজু বাদাম ও কিশমিশ (ঐচ্ছিক) || পরিমাণমতো
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# প্রথমে লাউটি ভালোভাবে ধুয়ে খোসা ছাড়িয়ে পাতলা করে গ্রেট করে নিন।
# একটি কড়াইয়ে ঘি গরম করে তাতে কোরানো লাউ দিন এবং মাঝারি আঁচে নাড়তে থাকুন।
# লাউ থেকে পানি ছাড়বে, ধীরে ধীরে তা শুকিয়ে গেলে তাতে দুধ দিন এবং মাঝেমধ্যে নাড়তে থাকুন যাতে লেগে না যায়।
# দুধ ফুটে আসলে এতে খোয়া ক্ষীর ও চিনি যোগ করুন। আঁচ কমিয়ে ধীরে ধীরে নাড়তে থাকুন যতক্ষণ না মিশ্রণটি ঘন হয় এবং কড়াই ছেড়ে দেয়।
# এরপর এলাচ গুঁড়ো ছিটিয়ে দিন এবং চাইলে ভাজা কাজু ও কিশমিশ মিশিয়ে দিন।
# কিছুক্ষণ দমে রাখুন। ঠান্ডা হলে পরিবেশন করুন।
<span style=color:red;><center>'''ঠান্ডা অবস্থায় মাটির পাত্রে বা ছোট বাটিতে পরিবেশন করুন।'''</center></span>
== পরামর্শ ==
* লাউ ঘষার পরে হালকা করে চেপে পানি ঝরিয়ে নিলে রান্নার সময় অতিরিক্ত জলাশয় তৈরি হয় না।
* ঘন দুধের পরিবর্তে কনডেন্সড মিল্ক ব্যবহার করলেও রেসিপি দ্রুত সম্পন্ন হয় এবং মিষ্টতা বৃদ্ধি পায়।
* ঘি যেন পোড়া না যায়, তাই তাপমাত্রা সবসময় নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:মিষ্টান্ন]]
[[Category:বাংলাদেশী ঐতিহ্যবাহী খাবার]]
[[Category:লাউজাতীয় পদ]]
n2uqa5af1trloaf92c10hv86f3v8nry
রন্ধনপ্রণালী:বুটের শিরনী
104
24656
84512
84371
2025-06-17T00:38:30Z
Mehedi Abedin
7113
84512
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = মিষ্টান্ন
| পরিবেশন = ৫–৬ জন
| তৈরির সময় = ১ ঘণ্টা
| কষ্টসাধ্য = ৩
| খাদ্য শক্তি = উচ্চ
| টীকা = প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী মিষ্টান্ন, যা বাংলাদেশের নানা ধর্মীয় বা সামাজিক অনুষ্ঠানে পরিবেশন করা হয়। এটি বুট, দুধ, চিনি ও ঘি দিয়ে প্রস্তুত করা হয় এবং স্বাদে অসাধারণ।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''বুটের শিরনী'''</big></center>
বুটের শিরনী বাংলাদেশে একটি ঐতিহ্যবাহী ও আবেগজড়ানো মিষ্টান্ন। বিশেষ করে মিলাদ, ইফতার কিংবা ওয়াজ মাহফিলে এটি পরিবেশনের এক গুরুত্বপূর্ণ পদ। এতে ব্যবহৃত হয় সিদ্ধ বুট, ঘন দুধ, চিনি, খোয়া ক্ষীর ও ঘি। এলাচ ও কিশমিশ এই রেসিপির সুগন্ধ ও স্বাদে বাড়তি মাত্রা যোগ করে। রান্না সহজ হলেও সঠিক অনুপাতে এবং ধৈর্য নিয়ে তৈরি করতে হয় যেন দুধ ঝরঝরে হয় এবং শিরনীতে দারুণ ঘনত্ব আসে।
== উপকরণ ==
{|class="wikitable"
! নাম !! পরিমাণ
|-
| শুকনা বুট || ১ কাপ (সারা রাত ভিজিয়ে পরদিন সিদ্ধ করা)
|-
| দুধ || ১ লিটার (ঘন করে ফুটিয়ে অর্ধেকে নামানো)
|-
| খোয়া ক্ষীর || ১/২ কাপ
|-
| চিনি || ১/২ কাপ (রুচি অনুযায়ী)
|-
| ঘি || ২ টেবিল চামচ
|-
| এলাচ গুঁড়ো || ১/২ চা চামচ
|-
| কিসমিস ও কাজু বাদাম || সাজানোর জন্য
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# প্রথমে বুট ভালোভাবে ধুয়ে সারা রাত পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। পরদিন নরম করে সিদ্ধ করে পানি ঝরিয়ে নিন।
# একটি পাত্রে দুধ বসিয়ে মাঝারি আঁচে ফুটিয়ে অর্ধেকে কমিয়ে নিন। এতে খোয়া ক্ষীর মিশিয়ে দিন ও ভালোভাবে নাড়ুন।
# তারপর চিনি ও এলাচ গুঁড়ো মিশিয়ে নিন এবং নাড়তে থাকুন।
# অন্যদিকে একটি কড়াইয়ে ঘি গরম করে সিদ্ধ বুটগুলো হালকা ভেজে নিন।
# এবার ভাজা বুট দুধের মিশ্রণে দিন এবং অল্প আঁচে ১৫–২০ মিনিট রান্না করুন যাতে সব উপকরণ ভালোভাবে মিশে যায়।
# কিশমিশ ও বাদাম ছিটিয়ে দিন, আরেকবার নেড়ে কিছুক্ষণ দমে রাখুন।
# ঠান্ডা হলে পরিবেশন করুন।
== পরিবেশন ==
বুটের শিরনী সাধারণত ঠান্ডা করে পরিবেশন করা হয়। এটি মাটির বাটিতে পরিবেশন করলে স্বাদ ও পরিবেশনার ঐতিহ্য আরও ফুটে ওঠে। ইফতার বা ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অতিথি আপ্যায়নে এটি একটি চমৎকার পদ।
== পরামর্শ ==
* দুধ ঘন করার সময় যেন নিচে লেগে না যায়, সে দিক খেয়াল রাখতে হবে।
* বুট সিদ্ধ করার সময় বেশি নরম না হওয়াই ভালো, তা হলে পরে দুধে রান্নার সময় তা গলে যেতে পারে।
* চাইলে খোয়া ক্ষীর বাদ দিয়েও রান্না করা যায়, তবে এতে ঘনত্ব কিছুটা কমে যেতে পারে।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:মিষ্টান্ন]]
[[Category:ঐতিহ্যবাহী খাবার]]
[[Category:বুটজাতীয় রেসিপি]]
mqkunjtyy5gfrisy1c3opgmfdc0k0qt
84513
84512
2025-06-17T00:38:54Z
Mehedi Abedin
7113
84513
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = মিষ্টান্ন
| পরিবেশন = ৫–৬ জন
| তৈরির সময় = ১ ঘণ্টা
| কষ্টসাধ্য = ৩
| খাদ্য শক্তি = উচ্চ
| টীকা = প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী মিষ্টান্ন, যা বাংলাদেশের নানা ধর্মীয় বা সামাজিক অনুষ্ঠানে পরিবেশন করা হয়। এটি বুট, দুধ, চিনি ও ঘি দিয়ে প্রস্তুত করা হয় এবং স্বাদে অসাধারণ।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''বুটের শিরনী'''</big></center>
বুটের শিরনী বাংলাদেশে একটি ঐতিহ্যবাহী ও আবেগজড়ানো মিষ্টান্ন। বিশেষ করে মিলাদ, ইফতার কিংবা ওয়াজ মাহফিলে এটি পরিবেশনের এক গুরুত্বপূর্ণ পদ। এতে ব্যবহৃত হয় সিদ্ধ বুট, ঘন দুধ, চিনি, খোয়া ক্ষীর ও ঘি। এলাচ ও কিশমিশ এই রেসিপির সুগন্ধ ও স্বাদে বাড়তি মাত্রা যোগ করে। রান্না সহজ হলেও সঠিক অনুপাতে এবং ধৈর্য নিয়ে তৈরি করতে হয় যেন দুধ ঝরঝরে হয় এবং শিরনীতে দারুণ ঘনত্ব আসে।
== উপকরণ ==
{|class="wikitable"
! নাম !! পরিমাণ
|-
| শুকনা বুট || ১ কাপ (সারা রাত ভিজিয়ে পরদিন সিদ্ধ করা)
|-
| দুধ || ১ লিটার (ঘন করে ফুটিয়ে অর্ধেকে নামানো)
|-
| খোয়া ক্ষীর || ১/২ কাপ
|-
| চিনি || ১/২ কাপ (রুচি অনুযায়ী)
|-
| ঘি || ২ টেবিল চামচ
|-
| এলাচ গুঁড়ো || ১/২ চা চামচ
|-
| কিসমিস ও কাজু বাদাম || সাজানোর জন্য
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# প্রথমে বুট ভালোভাবে ধুয়ে সারা রাত পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। পরদিন নরম করে সিদ্ধ করে পানি ঝরিয়ে নিন।
# একটি পাত্রে দুধ বসিয়ে মাঝারি আঁচে ফুটিয়ে অর্ধেকে কমিয়ে নিন। এতে খোয়া ক্ষীর মিশিয়ে দিন ও ভালোভাবে নাড়ুন।
# তারপর চিনি ও এলাচ গুঁড়ো মিশিয়ে নিন এবং নাড়তে থাকুন।
# অন্যদিকে একটি কড়াইয়ে ঘি গরম করে সিদ্ধ বুটগুলো হালকা ভেজে নিন।
# এবার ভাজা বুট দুধের মিশ্রণে দিন এবং অল্প আঁচে ১৫–২০ মিনিট রান্না করুন যাতে সব উপকরণ ভালোভাবে মিশে যায়।
# কিশমিশ ও বাদাম ছিটিয়ে দিন, আরেকবার নেড়ে কিছুক্ষণ দমে রাখুন।
# ঠান্ডা হলে পরিবেশন করুন।
<span style=color:red;><center>'''ঠান্ডা করে পরিবেশন করুন।'''</center></span>
== পরামর্শ ==
* দুধ ঘন করার সময় যেন নিচে লেগে না যায়, সে দিক খেয়াল রাখতে হবে।
* বুট সিদ্ধ করার সময় বেশি নরম না হওয়াই ভালো, তা হলে পরে দুধে রান্নার সময় তা গলে যেতে পারে।
* চাইলে খোয়া ক্ষীর বাদ দিয়েও রান্না করা যায়, তবে এতে ঘনত্ব কিছুটা কমে যেতে পারে।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:মিষ্টান্ন]]
[[Category:ঐতিহ্যবাহী খাবার]]
[[Category:বুটজাতীয় রেসিপি]]
eosf0ceppj30e97q72pbtrv21vf88ct
রন্ধনপ্রণালী:চালতার আচার
104
24759
84510
84381
2025-06-17T00:37:44Z
Mehedi Abedin
7113
84510
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = আচার ও সংরক্ষিত খাবার
| পরিবেশন = ৮–১০ জন
| তৈরির সময় = ২ ঘণ্টা
| কষ্টসাধ্য = ৩
| খাদ্য শক্তি = কম
| টীকা = একটি টক ফলের আচার যা বিশেষভাবে জনপ্রিয়। এর স্বাদ অতুলনীয়, বিশেষ করে গরম ভাতে বা খিচুড়ির সঙ্গে খেলে মুখে স্বাদ বাড়ে দ্বিগুণ।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''চালতার আচার'''</big></center>
চালতার আচার একটি জনপ্রিয় টকজাত খাবার যা বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলে বহুদিন ধরে তৈরি হয়ে আসছে। চালতা ফলটির স্বাভাবিক টক স্বাদ আচার তৈরিতে দারুণভাবে কাজে লাগে। এটি শুধু মুখরোচক নয়, বরং হজমে সহায়ক হিসেবেও পরিচিত।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! নাম !! পরিমাণ
|-
| চালতা || ১০–১২টি (মাঝারি সাইজের)
|-
| সরিষার তেল || ১ কাপ
|-
| শুকনা মরিচ গুঁড়া || ২ টেবিল চামচ
|-
| হলুদ গুঁড়া || ১ চা চামচ
|-
| লবণ || স্বাদমতো
|-
| চিনি || ২ টেবিল চামচ (ইচ্ছেমতো)
|-
| রসুন বাটা || ১ টেবিল চামচ
|-
| পাঁচফোড়ন || ১ চা চামচ
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# চালতাগুলো ধুয়ে পরিষ্কার করে কেটে নিন এবং রোদে কিছুক্ষণ শুকিয়ে নিন, যাতে অতিরিক্ত পানি শুকিয়ে যায়।
# একটি হাঁড়িতে সরিষার তেল গরম করে পাঁচফোড়ন ফোড়ন দিন।
# রসুন বাটা দিয়ে কিছুক্ষণ নাড়ুন, এরপর হলুদ, মরিচ গুঁড়া ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে কষান।
# এবার চালতা দিয়ে দিয়ে ভালোভাবে নাড়ুন, যেন মসলা চালতার সঙ্গে মিশে যায়।
# ঢেকে মাঝারি আঁচে কিছুক্ষণ রান্না করুন। চালতা নরম হয়ে গেলে চিনি দিন এবং নাড়তে থাকুন।
# যখন তেল ওপরে উঠে আসবে এবং চালতা কষা হয়ে যাবে, তখন চুলা বন্ধ করে ঠান্ডা হতে দিন।
# ঠান্ডা হলে জীবাণুমুক্ত কাচের বোতলে সংরক্ষণ করুন।
== পরিবেশন ==
চালতার আচার সাধারণত গরম ভাত, খিচুড়ি বা লুচির সঙ্গে পরিবেশন করা হয়। এটি খাবারে বাড়তি রুচি এনে দেয় এবং খাওয়ার আনন্দ দ্বিগুণ করে তোলে।
== পরামর্শ ==
* আচার ভালোভাবে সংরক্ষণের জন্য পুরোপুরি ঠান্ডা হয়ে গেলে কাচের বোতলে রাখুন।
* রোদে ২–৩ দিন দিয়ে রাখলে স্বাদ আরও ভালো হয়।
* চালতা ভালোভাবে শুকানো না হলে আচার দ্রুত নষ্ট হতে পারে।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:আচার ও সংরক্ষিত খাবার]]
[[Category:টকজাত পদ]]
[[Category:বাংলাদেশী ঐতিহ্যবাহী খাবার]]
nnc8n18ggl9li4v478x7omlmsc9t5aq
84511
84510
2025-06-17T00:38:04Z
Mehedi Abedin
7113
84511
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = আচার ও সংরক্ষিত খাবার
| পরিবেশন = ৮–১০ জন
| তৈরির সময় = ২ ঘণ্টা
| কষ্টসাধ্য = ৩
| খাদ্য শক্তি = কম
| টীকা = একটি টক ফলের আচার যা বিশেষভাবে জনপ্রিয়। এর স্বাদ অতুলনীয়, বিশেষ করে গরম ভাতে বা খিচুড়ির সঙ্গে খেলে মুখে স্বাদ বাড়ে দ্বিগুণ।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''চালতার আচার'''</big></center>
চালতার আচার একটি জনপ্রিয় টকজাত খাবার যা বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলে বহুদিন ধরে তৈরি হয়ে আসছে। চালতা ফলটির স্বাভাবিক টক স্বাদ আচার তৈরিতে দারুণভাবে কাজে লাগে। এটি শুধু মুখরোচক নয়, বরং হজমে সহায়ক হিসেবেও পরিচিত।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! নাম !! পরিমাণ
|-
| চালতা || ১০–১২টি (মাঝারি সাইজের)
|-
| সরিষার তেল || ১ কাপ
|-
| শুকনা মরিচ গুঁড়া || ২ টেবিল চামচ
|-
| হলুদ গুঁড়া || ১ চা চামচ
|-
| লবণ || স্বাদমতো
|-
| চিনি || ২ টেবিল চামচ (ইচ্ছেমতো)
|-
| রসুন বাটা || ১ টেবিল চামচ
|-
| পাঁচফোড়ন || ১ চা চামচ
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# চালতাগুলো ধুয়ে পরিষ্কার করে কেটে নিন এবং রোদে কিছুক্ষণ শুকিয়ে নিন, যাতে অতিরিক্ত পানি শুকিয়ে যায়।
# একটি হাঁড়িতে সরিষার তেল গরম করে পাঁচফোড়ন ফোড়ন দিন।
# রসুন বাটা দিয়ে কিছুক্ষণ নাড়ুন, এরপর হলুদ, মরিচ গুঁড়া ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে কষান।
# এবার চালতা দিয়ে দিয়ে ভালোভাবে নাড়ুন, যেন মসলা চালতার সঙ্গে মিশে যায়।
# ঢেকে মাঝারি আঁচে কিছুক্ষণ রান্না করুন। চালতা নরম হয়ে গেলে চিনি দিন এবং নাড়তে থাকুন।
# যখন তেল ওপরে উঠে আসবে এবং চালতা কষা হয়ে যাবে, তখন চুলা বন্ধ করে ঠান্ডা হতে দিন।
# ঠান্ডা হলে জীবাণুমুক্ত কাচের বোতলে সংরক্ষণ করুন।
<span style=color:red;><center>'''গরম ভাত, খিচুড়ি বা লুচির সঙ্গে পরিবেশন করুন।'''</center></span>
== পরামর্শ ==
* আচার ভালোভাবে সংরক্ষণের জন্য পুরোপুরি ঠান্ডা হয়ে গেলে কাচের বোতলে রাখুন।
* রোদে ২–৩ দিন দিয়ে রাখলে স্বাদ আরও ভালো হয়।
* চালতা ভালোভাবে শুকানো না হলে আচার দ্রুত নষ্ট হতে পারে।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:আচার ও সংরক্ষিত খাবার]]
[[Category:টকজাত পদ]]
[[Category:বাংলাদেশী ঐতিহ্যবাহী খাবার]]
7rzdkx5qy4dcqn3uydcx60n8qz06wmi
রন্ধনপ্রণালী:চিড়ার কাবাব
104
24761
84508
84382
2025-06-17T00:36:53Z
Mehedi Abedin
7113
84508
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = জলখাবার
| পরিবেশন = ৪ জন
| তৈরির সময় = ৪৫ মিনিট
| কষ্টসাধ্য = ২
| খাদ্য শক্তি = মাঝারি
| টীকা = একটি পুষ্টিকর ও ভিন্নধর্মী নাস্তা, যা ছানার সঙ্গে চিঁড়া ও মসলা মিশিয়ে তৈরি হয়। এটি শিশুদের জন্যও আদর্শ, কারণ এতে তেলে ভাজার বদলে হালকা ভাজা হয়।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''চিড়ার কাবাব'''</big></center>
চিড়া অনেকের কাছেই সাধারণ উপাদান হিসেবে পরিচিত, কিন্তু তা দিয়ে তৈরি করা যায় অসাধারণ কিছু পদ — তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে এই চিড়ার কাবাব। এতে চিড়া, ছানা, সবজি ও বিভিন্ন মসলা একত্র করে গোল করে বা ওভাল আকৃতিতে গড়ে হালকা ভাজা হয়। এটি খেতে যেমন সুস্বাদু, তেমনি হজমের দিক থেকেও আরামদায়ক।
== উপকরণ ==
{|class="wikitable"
! নাম !! উপাদান
|-
| পাতলা চিড়া || ২ কাপ (ধুয়ে ৫ মিনিট ভিজিয়ে পানি ঝরানো)
|-
| ছানা || ১ কাপ (মিহি করে চটকানো)
|-
| সিদ্ধ আলু || ২টি (মিহি করে চটকানো)
|-
| পেঁয়াজ কুচি || ১/২ কাপ
|-
| কাঁচা মরিচ কুচি || ১ টেবিল চামচ
|-
| ধনে পাতা কুচি || ২ টেবিল চামচ
|-
| ভাজা জিরা গুঁড়া || ১ চা চামচ
|-
| গোল মরিচ গুঁড়া || ১/২ চা চামচ
|-
| বিট লবণ || ১/২ চা চামচ
|-
| স্বাদমতো লবণ || পরিমাণমতো
|-
| তেল || ভাজার জন্য
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# একটি বড় পাত্রে চিড়া, ছানা ও সিদ্ধ আলু একসঙ্গে মিশিয়ে নিন।
# এরপর তাতে পেঁয়াজ, কাঁচা মরিচ, ধনে পাতা, ভাজা জিরা, গোল মরিচ ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে মেখে নিন।
# মিশ্রণটি হাত দিয়ে চেপে গোল বা ডিম্বাকার আকারে গড়ে নিন।
# একটি কড়াইতে পরিমাণমতো তেল গরম করে মাঝারি আঁচে কাবাবগুলো হালকা বাদামি রঙ হওয়া পর্যন্ত ভেজে তুলুন।
# চাইলে ওভেনেও সামান্য তেল ছিটিয়ে বেক করে নেওয়া যায়।
== পরিবেশন ==
চিড়ার কাবাব গরম গরম পরিবেশন করুন টমেটো চাটনি বা পুদিনা চাটনির সঙ্গে। এটি চা-এর সঙ্গে বিকালের নাস্তা হিসেবে অতুলনীয়।
== পরামর্শ ==
* ছানার বদলে চাইলে সেদ্ধ মুগ ডাল বা গ্রিন গ্রাম ব্যবহার করা যায়।
* শিশুদের জন্য ঝাল কমিয়ে রান্না করলে এটি খুবই উপযোগী পুষ্টিকর নাস্তা।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:নাস্তা]]
[[Category:চিড়ার পদ]]
[[Category:ভিন্নধর্মী রেসিপি]]
54he7jnsudidcmnmc70ki7cayqamv2l
84509
84508
2025-06-17T00:37:16Z
Mehedi Abedin
7113
84509
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = জলখাবার
| পরিবেশন = ৪ জন
| তৈরির সময় = ৪৫ মিনিট
| কষ্টসাধ্য = ২
| খাদ্য শক্তি = মাঝারি
| টীকা = একটি পুষ্টিকর ও ভিন্নধর্মী নাস্তা, যা ছানার সঙ্গে চিঁড়া ও মসলা মিশিয়ে তৈরি হয়। এটি শিশুদের জন্যও আদর্শ, কারণ এতে তেলে ভাজার বদলে হালকা ভাজা হয়।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''চিড়ার কাবাব'''</big></center>
চিড়া অনেকের কাছেই সাধারণ উপাদান হিসেবে পরিচিত, কিন্তু তা দিয়ে তৈরি করা যায় অসাধারণ কিছু পদ — তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে এই চিড়ার কাবাব। এতে চিড়া, ছানা, সবজি ও বিভিন্ন মসলা একত্র করে গোল করে বা ওভাল আকৃতিতে গড়ে হালকা ভাজা হয়। এটি খেতে যেমন সুস্বাদু, তেমনি হজমের দিক থেকেও আরামদায়ক।
== উপকরণ ==
{|class="wikitable"
! নাম !! উপাদান
|-
| পাতলা চিড়া || ২ কাপ (ধুয়ে ৫ মিনিট ভিজিয়ে পানি ঝরানো)
|-
| ছানা || ১ কাপ (মিহি করে চটকানো)
|-
| সিদ্ধ আলু || ২টি (মিহি করে চটকানো)
|-
| পেঁয়াজ কুচি || ১/২ কাপ
|-
| কাঁচা মরিচ কুচি || ১ টেবিল চামচ
|-
| ধনে পাতা কুচি || ২ টেবিল চামচ
|-
| ভাজা জিরা গুঁড়া || ১ চা চামচ
|-
| গোল মরিচ গুঁড়া || ১/২ চা চামচ
|-
| বিট লবণ || ১/২ চা চামচ
|-
| স্বাদমতো লবণ || পরিমাণমতো
|-
| তেল || ভাজার জন্য
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# একটি বড় পাত্রে চিড়া, ছানা ও সিদ্ধ আলু একসঙ্গে মিশিয়ে নিন।
# এরপর তাতে পেঁয়াজ, কাঁচা মরিচ, ধনে পাতা, ভাজা জিরা, গোল মরিচ ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে মেখে নিন।
# মিশ্রণটি হাত দিয়ে চেপে গোল বা ডিম্বাকার আকারে গড়ে নিন।
# একটি কড়াইতে পরিমাণমতো তেল গরম করে মাঝারি আঁচে কাবাবগুলো হালকা বাদামি রঙ হওয়া পর্যন্ত ভেজে তুলুন।
# চাইলে ওভেনেও সামান্য তেল ছিটিয়ে বেক করে নেওয়া যায়।
<span style=color:red;><center>'''গরম গরম পরিবেশন করুন টমেটো চাটনি বা পুদিনা চাটনির সঙ্গে।'''</center></span>
== পরামর্শ ==
* ছানার বদলে চাইলে সেদ্ধ মুগ ডাল বা গ্রিন গ্রাম ব্যবহার করা যায়।
* শিশুদের জন্য ঝাল কমিয়ে রান্না করলে এটি খুবই উপযোগী পুষ্টিকর নাস্তা।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:নাস্তা]]
[[Category:চিড়ার পদ]]
[[Category:ভিন্নধর্মী রেসিপি]]
7z3cbrtg4gdcqz4g35y6675gbe82tdj
রন্ধনপ্রণালী:ডিমের টমেটো কারি
104
24764
84506
84383
2025-06-17T00:36:00Z
Mehedi Abedin
7113
84506
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = মূল পদ
| পরিবেশন = ৪ জন
| তৈরির সময় = ৪৫ মিনিট
| কষ্টসাধ্য = ২
| খাদ্য শক্তি = মাঝারি
| টীকা = একটি ঝাল ও টক-মিষ্টি স্বাদের রান্না, যা ডিম ও টমেটোর সংমিশ্রণে তৈরি হয়। এটি দ্রুত প্রস্তুতযোগ্য এবং প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় অনায়াসে যুক্ত করা যায়।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''ডিমের টমেটো কারি'''</big></center>
ডিমের টমেটো কারি একটি সহজ এবং তৃপ্তিদায়ক রান্না, যেখানে সিদ্ধ ডিম টমেটোর নির্যাসে মসলা দিয়ে রান্না করা হয়। এই পদে টমেটোর টক-মিষ্টি ভাবের সঙ্গে ডিমের ঘন স্বাদ মিলে তৈরি হয় অসাধারণ স্বাদের সমন্বয়। এটি খুব সাধারণ উপকরণে তৈরি করা যায়, বিশেষ করে ব্যস্ত সময়ে দ্রুত কিছু রেঁধে খেতে চাইলে এই পদটি আদর্শ।
== উপকরণ ==
{|class="wikitable"
! নাম !! উপাদান
|-
| ডিম || ৪টি (সিদ্ধ)
|-
| টমেটো || ৩টি (মিহি করে কুচানো বা ব্লেন্ড করা)
|-
| পেঁয়াজ কুচি || ১ কাপ
|-
| আদা-রসুন বাটা || ১ টেবিল চামচ
|-
| হলুদ গুঁড়া || ১/২ চা চামচ
|-
| মরিচ গুঁড়া || ১ চা চামচ
|-
| ধনে গুঁড়া || ১ চা চামচ
|-
| গরম মসলা গুঁড়া || ১/২ চা চামচ
|-
| চিনি || ১ চা চামচ (ঐচ্ছিক)
|-
| তেজপাতা || ১টি
|-
| তেল || ৫ টেবিল চামচ
|-
| লবণ || পরিমাণমতো
|-
| পানি || ১ কাপ (প্রয়োজন অনুযায়ী)
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# প্রথমে সিদ্ধ ডিমগুলো সামান্য লবণ ও হলুদ মেখে হালকা করে ভেজে তুলে রাখুন।
# কড়াইতে তেল গরম করে তাতে তেজপাতা দিন এবং এরপর পেঁয়াজ কুচি দিয়ে নরম হওয়া পর্যন্ত ভাজুন।
# আদা-রসুন বাটা দিয়ে কিছুক্ষণ ভেজে নিয়ে টমেটো কুচি দিন। ভালোভাবে নেড়ে মসলা দিন — হলুদ, মরিচ, ধনে গুঁড়া ও লবণ। ঢেকে রেখে রান্না করুন যতক্ষণ না তেল ছেড়ে আসে।
# চিনি ও গরম মসলা গুঁড়া দিয়ে নাড়ুন। এরপর ১ কাপ পানি দিয়ে ফুটে উঠলে ভাজা ডিমগুলো দিয়ে দিন।
# ঢেকে ১০ মিনিট রান্না করুন, যেন ডিমে মসলা ভালোভাবে ঢুকে যায়।
== পরিবেশন ==
গরম ভাত, রুটি বা পরোটা দিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন। ইচ্ছা করলে উপরে ধনে পাতা ছড়িয়ে সৌন্দর্য ও স্বাদ বাড়ানো যায়।
== পরামর্শ ==
* ডিমে কাঁটা কেটে দিলে মসলা ভিতরে ঢুকে আরও মজাদার হয়।
* টমেটো বেশি টক হলে সামান্য চিনি যোগ করে স্বাদ ভারসাম্য করা যায়।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:ডিমের পদ]]
[[Category:মূল খাবার]]
[[Category:টমেটো ভিত্তিক রেসিপি]]
dadqr23ji61yd0vlr4psg793q5qhvul
84507
84506
2025-06-17T00:36:20Z
Mehedi Abedin
7113
84507
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = মূল পদ
| পরিবেশন = ৪ জন
| তৈরির সময় = ৪৫ মিনিট
| কষ্টসাধ্য = ২
| খাদ্য শক্তি = মাঝারি
| টীকা = একটি ঝাল ও টক-মিষ্টি স্বাদের রান্না, যা ডিম ও টমেটোর সংমিশ্রণে তৈরি হয়। এটি দ্রুত প্রস্তুতযোগ্য এবং প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় অনায়াসে যুক্ত করা যায়।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''ডিমের টমেটো কারি'''</big></center>
ডিমের টমেটো কারি একটি সহজ এবং তৃপ্তিদায়ক রান্না, যেখানে সিদ্ধ ডিম টমেটোর নির্যাসে মসলা দিয়ে রান্না করা হয়। এই পদে টমেটোর টক-মিষ্টি ভাবের সঙ্গে ডিমের ঘন স্বাদ মিলে তৈরি হয় অসাধারণ স্বাদের সমন্বয়। এটি খুব সাধারণ উপকরণে তৈরি করা যায়, বিশেষ করে ব্যস্ত সময়ে দ্রুত কিছু রেঁধে খেতে চাইলে এই পদটি আদর্শ।
== উপকরণ ==
{|class="wikitable"
! নাম !! উপাদান
|-
| ডিম || ৪টি (সিদ্ধ)
|-
| টমেটো || ৩টি (মিহি করে কুচানো বা ব্লেন্ড করা)
|-
| পেঁয়াজ কুচি || ১ কাপ
|-
| আদা-রসুন বাটা || ১ টেবিল চামচ
|-
| হলুদ গুঁড়া || ১/২ চা চামচ
|-
| মরিচ গুঁড়া || ১ চা চামচ
|-
| ধনে গুঁড়া || ১ চা চামচ
|-
| গরম মসলা গুঁড়া || ১/২ চা চামচ
|-
| চিনি || ১ চা চামচ (ঐচ্ছিক)
|-
| তেজপাতা || ১টি
|-
| তেল || ৫ টেবিল চামচ
|-
| লবণ || পরিমাণমতো
|-
| পানি || ১ কাপ (প্রয়োজন অনুযায়ী)
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# প্রথমে সিদ্ধ ডিমগুলো সামান্য লবণ ও হলুদ মেখে হালকা করে ভেজে তুলে রাখুন।
# কড়াইতে তেল গরম করে তাতে তেজপাতা দিন এবং এরপর পেঁয়াজ কুচি দিয়ে নরম হওয়া পর্যন্ত ভাজুন।
# আদা-রসুন বাটা দিয়ে কিছুক্ষণ ভেজে নিয়ে টমেটো কুচি দিন। ভালোভাবে নেড়ে মসলা দিন — হলুদ, মরিচ, ধনে গুঁড়া ও লবণ। ঢেকে রেখে রান্না করুন যতক্ষণ না তেল ছেড়ে আসে।
# চিনি ও গরম মসলা গুঁড়া দিয়ে নাড়ুন। এরপর ১ কাপ পানি দিয়ে ফুটে উঠলে ভাজা ডিমগুলো দিয়ে দিন।
# ঢেকে ১০ মিনিট রান্না করুন, যেন ডিমে মসলা ভালোভাবে ঢুকে যায়।
<span style=color:red;><center>'''গরম ভাত, রুটি বা পরোটা দিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।'''</center></span>
== পরামর্শ ==
* ডিমে কাঁটা কেটে দিলে মসলা ভিতরে ঢুকে আরও মজাদার হয়।
* টমেটো বেশি টক হলে সামান্য চিনি যোগ করে স্বাদ ভারসাম্য করা যায়।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:ডিমের পদ]]
[[Category:মূল খাবার]]
[[Category:টমেটো ভিত্তিক রেসিপি]]
kpuy9ep5rl8y5o868c1cpunwyc549kv
রন্ধনপ্রণালী:লাউ ভাজা
104
24767
84503
84385
2025-06-17T00:34:53Z
Mehedi Abedin
7113
84503
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = পার্শ্বপদ
| পরিবেশন = ৩-৪ জন
| তৈরির সময় = ৩০ মিনিট
| কষ্টসাধ্য = ১
| খাদ্য শক্তি = মাঝারি
| টীকা = প্রধান খাবারের সঙ্গে পরিবেশিত লাউয়ের সহজ, সুস্বাদু ও পুষ্টিকর একটি পদ। এটি তৈরিতে তেলের পরিমাণ কম থাকে, ফলে এটি স্বাস্থ্যকর খাবারের তালিকায় স্থান পায়।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''লাউ ভাজা'''</big></center>
লাউ ভাজা হলো এক ধরনের সাদাসিধে কিন্তু অনেক সুস্বাদু তরকারি। লাউয়ের মিষ্টি স্বাদ এবং নরম গঠন এই ভাজা তৈরিতে অসাধারণ প্রভাব ফেলে। এটি তৈরিতে খুব বেশি সময় লাগে না, তাই তাড়াহুড়োর সময়ে খুবই উপযোগী। গরম ভাত বা পরোটার সঙ্গে পরিবেশন করলে এর স্বাদ দ্বিগুণ বৃদ্ধি পায়।
== উপকরণ ==
{|class="wikitable"
! নাম !! উপাদান
|-
| লাউ || ১টি মাঝারি আকারের (ছোট ছোট টুকরো করে কাটা)
|-
| পেঁয়াজ কুচি || ১/২ কাপ
|-
| আদা বাটা || ১ চা চামচ
|-
| লঙ্কা কুচি || ১/২ চা চামচ
|-
| হলুদ গুঁড়া || ১/২ চা চামচ
|-
| ধনে গুঁড়া || ১ চা চামচ
|-
| লবণ || স্বাদমতো
|-
| তেল || ৩ টেবিল চামচ
|-
| ধনে পাতা কুচানো || ২ টেবিল চামচ
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# লাউ ধুয়ে খোসা ছাড়িয়ে ছোট ছোট টুকরো করুন।
# একটি পাত্রে লাউ, পেঁয়াজ, আদা বাটা, লঙ্কা কুচি, হলুদ গুঁড়া, ধনে গুঁড়া ও লবণ দিয়ে ভালো করে মেশান।
# মাঝারি আঁচে একটি কড়াইতে তেল গরম করুন।
# মিশ্রণ থেকে লাউয়ের টুকরোগুলো কড়াইতে ঢেলে মাঝারি আঁচে ভাজতে শুরু করুন।
# মাঝে মাঝে নেড়ে লাউগুলো সোনালি বাদামী হওয়া পর্যন্ত ভাজুন।
# ভাজা হয়ে গেলে ধনে পাতা ছড়িয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।
== পরিবেশন ==
লাউ ভাজা সাধারণত গরম ভাত, ডাল ও অন্যান্য তরকারির সঙ্গে পরিবেশন করা হয়। এটি সহজ, হালকা এবং পুষ্টিকর পার্শ্বপদ হিসেবে জনপ্রিয়।
== পরামর্শ ==
* লাউ বেশি জল ধরে রাখে, তাই ভাজার সময় আঁচ একটু কম রাখুন যাতে ভালোভাবে ভাজা যায়।
* চাইলে সামান্য হলুদ গুঁড়া বাদ দিয়ে সরাসরি ধনে গুঁড়া ব্যবহার করতে পারেন।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:সবজি তরকারি]]
[[Category:সহপাক]]
[[Category:স্বাস্থ্যকর রেসিপি]]
dmc7z8kcoiw65wyvy6lxdpwtodcb75f
84504
84503
2025-06-17T00:35:18Z
Mehedi Abedin
7113
84504
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = পার্শ্বপদ
| পরিবেশন = ৩-৪ জন
| তৈরির সময় = ৩০ মিনিট
| কষ্টসাধ্য = ১
| খাদ্য শক্তি = মাঝারি
| টীকা = প্রধান খাবারের সঙ্গে পরিবেশিত লাউয়ের সহজ, সুস্বাদু ও পুষ্টিকর একটি পদ। এটি তৈরিতে তেলের পরিমাণ কম থাকে, ফলে এটি স্বাস্থ্যকর খাবারের তালিকায় স্থান পায়।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''লাউ ভাজা'''</big></center>
লাউ ভাজা হলো এক ধরনের সাদাসিধে কিন্তু অনেক সুস্বাদু তরকারি। লাউয়ের মিষ্টি স্বাদ এবং নরম গঠন এই ভাজা তৈরিতে অসাধারণ প্রভাব ফেলে। এটি তৈরিতে খুব বেশি সময় লাগে না, তাই তাড়াহুড়োর সময়ে খুবই উপযোগী। গরম ভাত বা পরোটার সঙ্গে পরিবেশন করলে এর স্বাদ দ্বিগুণ বৃদ্ধি পায়।
== উপকরণ ==
{|class="wikitable"
! নাম !! উপাদান
|-
| লাউ || ১টি মাঝারি আকারের (ছোট ছোট টুকরো করে কাটা)
|-
| পেঁয়াজ কুচি || ১/২ কাপ
|-
| আদা বাটা || ১ চা চামচ
|-
| লঙ্কা কুচি || ১/২ চা চামচ
|-
| হলুদ গুঁড়া || ১/২ চা চামচ
|-
| ধনে গুঁড়া || ১ চা চামচ
|-
| লবণ || স্বাদমতো
|-
| তেল || ৩ টেবিল চামচ
|-
| ধনে পাতা কুচানো || ২ টেবিল চামচ
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# লাউ ধুয়ে খোসা ছাড়িয়ে ছোট ছোট টুকরো করুন।
# একটি পাত্রে লাউ, পেঁয়াজ, আদা বাটা, লঙ্কা কুচি, হলুদ গুঁড়া, ধনে গুঁড়া ও লবণ দিয়ে ভালো করে মেশান।
# মাঝারি আঁচে একটি কড়াইতে তেল গরম করুন।
# মিশ্রণ থেকে লাউয়ের টুকরোগুলো কড়াইতে ঢেলে মাঝারি আঁচে ভাজতে শুরু করুন।
# মাঝে মাঝে নেড়ে লাউগুলো সোনালি বাদামী হওয়া পর্যন্ত ভাজুন।
# ভাজা হয়ে গেলে ধনে পাতা ছড়িয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।
<span style=color:red;><center>'''গরম ভাত, ডাল ও অন্যান্য তরকারির সঙ্গে পরিবেশন করুন।'''</center></span>
== পরামর্শ ==
* লাউ বেশি জল ধরে রাখে, তাই ভাজার সময় আঁচ একটু কম রাখুন যাতে ভালোভাবে ভাজা যায়।
* চাইলে সামান্য হলুদ গুঁড়া বাদ দিয়ে সরাসরি ধনে গুঁড়া ব্যবহার করতে পারেন।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:সবজি তরকারি]]
[[Category:সহপাক]]
[[Category:স্বাস্থ্যকর রেসিপি]]
tk7yyuw076qzlc0omr7r6sikv5mngqp
84505
84504
2025-06-17T00:35:34Z
Mehedi Abedin
7113
84505
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = পার্শ্বপদ
| পরিবেশন = ৩-৪ জন
| তৈরির সময় = ৩০ মিনিট
| কষ্টসাধ্য = ১
| খাদ্য শক্তি = মাঝারি
| টীকা = প্রধান খাবারের সঙ্গে পরিবেশিত লাউয়ের সহজ, সুস্বাদু ও পুষ্টিকর একটি পদ। এটি তৈরিতে তেলের পরিমাণ কম থাকে, ফলে এটি স্বাস্থ্যকর খাবারের তালিকায় স্থান পায়।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''লাউ ভাজা'''</big></center>
লাউ ভাজা হলো এক ধরনের সাদাসিধে কিন্তু অনেক সুস্বাদু তরকারি। লাউয়ের মিষ্টি স্বাদ এবং নরম গঠন এই ভাজা তৈরিতে অসাধারণ প্রভাব ফেলে। এটি তৈরিতে খুব বেশি সময় লাগে না, তাই তাড়াহুড়োর সময়ে খুবই উপযোগী। গরম ভাত বা পরোটার সঙ্গে পরিবেশন করলে এর স্বাদ দ্বিগুণ বৃদ্ধি পায়।
== উপকরণ ==
{|class="wikitable"
! নাম !! উপাদান
|-
| লাউ || ১টি মাঝারি আকারের (ছোট ছোট টুকরো করে কাটা)
|-
| পেঁয়াজ কুচি || ১/২ কাপ
|-
| আদা বাটা || ১ চা চামচ
|-
| লঙ্কা কুচি || ১/২ চা চামচ
|-
| হলুদ গুঁড়া || ১/২ চা চামচ
|-
| ধনে গুঁড়া || ১ চা চামচ
|-
| লবণ || স্বাদমতো
|-
| তেল || ৩ টেবিল চামচ
|-
| ধনে পাতা কুচানো || ২ টেবিল চামচ
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# লাউ ধুয়ে খোসা ছাড়িয়ে ছোট ছোট টুকরো করুন।
# একটি পাত্রে লাউ, পেঁয়াজ, আদা বাটা, লঙ্কা কুচি, হলুদ গুঁড়া, ধনে গুঁড়া ও লবণ দিয়ে ভালো করে মেশান।
# মাঝারি আঁচে একটি কড়াইতে তেল গরম করুন।
# মিশ্রণ থেকে লাউয়ের টুকরোগুলো কড়াইতে ঢেলে মাঝারি আঁচে ভাজতে শুরু করুন।
# মাঝে মাঝে নেড়ে লাউগুলো সোনালি বাদামী হওয়া পর্যন্ত ভাজুন।
# ভাজা হয়ে গেলে ধনে পাতা ছড়িয়ে দিন।
<span style=color:red;><center>'''গরম ভাত, ডাল ও অন্যান্য তরকারির সঙ্গে পরিবেশন করুন।'''</center></span>
== পরামর্শ ==
* লাউ বেশি জল ধরে রাখে, তাই ভাজার সময় আঁচ একটু কম রাখুন যাতে ভালোভাবে ভাজা যায়।
* চাইলে সামান্য হলুদ গুঁড়া বাদ দিয়ে সরাসরি ধনে গুঁড়া ব্যবহার করতে পারেন।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:সবজি তরকারি]]
[[Category:সহপাক]]
[[Category:স্বাস্থ্যকর রেসিপি]]
g5pugdijuoqx38j8uxytl12x4efapv0
রন্ধনপ্রণালী:ইলিশের খোসার ঝোল
104
24769
84501
84386
2025-06-17T00:34:09Z
Mehedi Abedin
7113
84501
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = সহপাক
| পরিবেশন = ৪ জন
| তৈরির সময় = ৫০ মিনিট
| কষ্টসাধ্য = ৩
| খাদ্য শক্তি = মাঝারি
| টীকা = ইলিশ মাছের খোসা দিয়ে তৈরি এই বিরল সহপাকটি সুস্বাদু এবং ভিন্ন স্বাদের এক অভিজ্ঞতা। ইলিশের স্বাদ ধরে রেখে তৈরি এই পদটি বাঙালি ভোজের নতুন মাত্রা যোগ করে।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''ইলিশের খোসার ঝোল'''</big></center>
ইলিশ মাছ বাঙালিদের অতি প্রিয় এবং বিশেষ মাছ হলেও এর খোসাগুলো সাধারণত ফেলে দেওয়া হয়। কিন্তু এই রন্ধনপ্রণালীতে ইলিশের খোসা ব্যবহার করে একটি পুষ্টিকর এবং স্বাদে ভরপুর ঝোল তৈরি করা হয়। খোসা থেকে মাংসের অবশিষ্টাংশ বেরিয়ে আসায় ঝোলটি বেশ ঘন এবং সুগন্ধিযুক্ত হয়। এটি ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করলে ভোজনের স্বাদ এক নতুন মাত্রা পায়।
== উপকরণ ==
{|class="wikitable"
! নাম !! উপাদান
|-
| ইলিশের খোসা (পরিষ্কার করা) || ৫০০ গ্রাম
|-
| পেঁয়াজ কুচি || ১ বড় কাপ
|-
| আদা বাটা || ১ টেবিল চামচ
|-
| রসুন বাটা || ১ টেবিল চামচ
|-
| হলুদ গুঁড়া || ১ চা চামচ
|-
| লাল মরিচ গুঁড়া || ১ চা চামচ
|-
| ধনে গুঁড়া || ১ চা চামচ
|-
| জিরা গুঁড়া || ১/২ চা চামচ
|-
| টক দই || ১/২ কাপ
|-
| তেল || ৩ টেবিল চামচ
|-
| লবণ || স্বাদমতো
|-
| পানি || ২ কাপ
|-
| কাঁচা মরিচ || ২-৩ টি (ঐচ্ছিক)
|-
| ধনে পাতা কুচানো || ২ টেবিল চামচ
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# ইলিশের খোসাগুলো ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করুন। কোনো মাংসের অংশ থাকলে তা আলাদা করে রাখুন।
# পাত্রে তেল গরম করে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে নরম হওয়া পর্যন্ত ভাজুন।
# আদা ও রসুন বাটা দিয়ে ভাজা চালিয়ে নিন যতক্ষণ পর্যন্ত তার কাঁচা গন্ধ চলে যায়।
# হলুদ, লাল মরিচ, ধনে ও জিরা গুঁড়া দিয়ে মিশ্রণ ভালো করে নাড়ুন।
# টক দই দিয়ে ঝোলটা ভালোভাবে নাড়ুন যাতে মসলা ও দই একত্রিত হয়।
# এরপর ইলিশের খোসা যোগ করুন এবং ভালো করে মিশিয়ে নিন যাতে সব খোসায় মসলা লেগে যায়।
# দুই কাপ পানি ঢেলে ঢাকনা দিয়ে কম আঁচে ৩০-৪০ মিনিট রান্না করুন যতক্ষণ না খোসা নরম হয়ে ঝোলটি ঘন হয়।
# মাঝে মাঝে নেড়ে খোসার নিচে লেগে যাওয়া রোধ করুন।
# রান্না শেষ হওয়ার আগে কাঁচা মরিচ ও ধনে পাতা ছড়িয়ে দিন।
# গরম গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন।
== পরামর্শ ==
* খোসা বেশি হলে ঝোল খুব ঘন হতে পারে, তখন সামান্য পানি যোগ করে ঝোলের ঘনত্ব নিয়ন্ত্রণ করুন।
* চাইলে রান্নার সময় আলু যোগ করে আরো পুষ্টিকর করা যায়।
* ঝোলটি খুব বেশি সময় রাখবেন না, যেন ইলিশের স্বাদ ধরে থাকে।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:সহপাক]]
[[Category:বাংলাদেশী মাছের পদ]]
[[Category:ঐতিহ্যবাহী খাবার]]
qldwelmow5h69y5b39byy00al6crtzd
84502
84501
2025-06-17T00:34:26Z
Mehedi Abedin
7113
/* প্রস্তুত প্রণালী */
84502
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = সহপাক
| পরিবেশন = ৪ জন
| তৈরির সময় = ৫০ মিনিট
| কষ্টসাধ্য = ৩
| খাদ্য শক্তি = মাঝারি
| টীকা = ইলিশ মাছের খোসা দিয়ে তৈরি এই বিরল সহপাকটি সুস্বাদু এবং ভিন্ন স্বাদের এক অভিজ্ঞতা। ইলিশের স্বাদ ধরে রেখে তৈরি এই পদটি বাঙালি ভোজের নতুন মাত্রা যোগ করে।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''ইলিশের খোসার ঝোল'''</big></center>
ইলিশ মাছ বাঙালিদের অতি প্রিয় এবং বিশেষ মাছ হলেও এর খোসাগুলো সাধারণত ফেলে দেওয়া হয়। কিন্তু এই রন্ধনপ্রণালীতে ইলিশের খোসা ব্যবহার করে একটি পুষ্টিকর এবং স্বাদে ভরপুর ঝোল তৈরি করা হয়। খোসা থেকে মাংসের অবশিষ্টাংশ বেরিয়ে আসায় ঝোলটি বেশ ঘন এবং সুগন্ধিযুক্ত হয়। এটি ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করলে ভোজনের স্বাদ এক নতুন মাত্রা পায়।
== উপকরণ ==
{|class="wikitable"
! নাম !! উপাদান
|-
| ইলিশের খোসা (পরিষ্কার করা) || ৫০০ গ্রাম
|-
| পেঁয়াজ কুচি || ১ বড় কাপ
|-
| আদা বাটা || ১ টেবিল চামচ
|-
| রসুন বাটা || ১ টেবিল চামচ
|-
| হলুদ গুঁড়া || ১ চা চামচ
|-
| লাল মরিচ গুঁড়া || ১ চা চামচ
|-
| ধনে গুঁড়া || ১ চা চামচ
|-
| জিরা গুঁড়া || ১/২ চা চামচ
|-
| টক দই || ১/২ কাপ
|-
| তেল || ৩ টেবিল চামচ
|-
| লবণ || স্বাদমতো
|-
| পানি || ২ কাপ
|-
| কাঁচা মরিচ || ২-৩ টি (ঐচ্ছিক)
|-
| ধনে পাতা কুচানো || ২ টেবিল চামচ
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# ইলিশের খোসাগুলো ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করুন। কোনো মাংসের অংশ থাকলে তা আলাদা করে রাখুন।
# পাত্রে তেল গরম করে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে নরম হওয়া পর্যন্ত ভাজুন।
# আদা ও রসুন বাটা দিয়ে ভাজা চালিয়ে নিন যতক্ষণ পর্যন্ত তার কাঁচা গন্ধ চলে যায়।
# হলুদ, লাল মরিচ, ধনে ও জিরা গুঁড়া দিয়ে মিশ্রণ ভালো করে নাড়ুন।
# টক দই দিয়ে ঝোলটা ভালোভাবে নাড়ুন যাতে মসলা ও দই একত্রিত হয়।
# এরপর ইলিশের খোসা যোগ করুন এবং ভালো করে মিশিয়ে নিন যাতে সব খোসায় মসলা লেগে যায়।
# দুই কাপ পানি ঢেলে ঢাকনা দিয়ে কম আঁচে ৩০-৪০ মিনিট রান্না করুন যতক্ষণ না খোসা নরম হয়ে ঝোলটি ঘন হয়।
# মাঝে মাঝে নেড়ে খোসার নিচে লেগে যাওয়া রোধ করুন।
# রান্না শেষ হওয়ার আগে কাঁচা মরিচ ও ধনে পাতা ছড়িয়ে দিন।
<span style=color:red;><center>''' গরম গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন।'''</center></span>
== পরামর্শ ==
* খোসা বেশি হলে ঝোল খুব ঘন হতে পারে, তখন সামান্য পানি যোগ করে ঝোলের ঘনত্ব নিয়ন্ত্রণ করুন।
* চাইলে রান্নার সময় আলু যোগ করে আরো পুষ্টিকর করা যায়।
* ঝোলটি খুব বেশি সময় রাখবেন না, যেন ইলিশের স্বাদ ধরে থাকে।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:সহপাক]]
[[Category:বাংলাদেশী মাছের পদ]]
[[Category:ঐতিহ্যবাহী খাবার]]
3ynzxbvaaxwk5cvj7dazf978qowc7s9
রন্ধনপ্রণালী:আলুর বড়া
104
24771
84499
84389
2025-06-17T00:33:29Z
Mehedi Abedin
7113
84499
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = পার্শ্বপদ
| পরিবেশন = ৪ জন
| তৈরির সময় = ৩০ মিনিট
| কষ্টসাধ্য = 2
| খাদ্য শক্তি = মাঝারি
| টীকা = বাংলাদেশের জনপ্রিয় সহপাক, যা যেকোনো প্রধান খাবারের সঙ্গে পরিবেশন করা যায়। আলুর মাখা ঘন মশলার মিশ্রণে ভাজা হলে এটি মচমচে ও স্বাদে অনন্য হয়।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''আলুর বড়া'''</big></center>
আলুর বড়া বাংলাদেশের সাধারণ ও জনপ্রিয় পার্শ্ব পদগুলোর মধ্যে একটি। বিশেষত বাংলার ঘরোয়া রান্নায় এটি অনেকখানি প্রিয়। আলু মাখা মশলার সাথে মিহি মসলার সংমিশ্রণে তৈরি বড়া ভাজা হলে সুস্বাদু ও তীব্র স্বাদের প্রতিচ্ছবি ফুটে ওঠে। সাধারণত ভাত বা পরোটার সঙ্গে পরিবেশন করা হয়।
== উপকরণ ==
{|class="wikitable"
! নাম !! পরিমাণ
|-
| আলু (মাঝারি আকারের) || ৪টি
|-
| পেঁয়াজ (মিহি কাটা) || ১টি
|-
| কাঁচা মরিচ (স্বাদমতো কাটা) || ২-৩টি
|-
| ধনে পাতা (কাটা) || ২ টেবিল চামচ
|-
| হলুদ গুঁড়ো || ১/২ চা চামচ
|-
| লবণ || স্বাদমতো
|-
| সরষের তেল / সয়াবিন তেল || ভাজার জন্য প্রয়োজন মতো
|-
| ময়দা || ২ টেবিল চামচ (আঠা বাঁধানোর জন্য)
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# আলুগুলো সিদ্ধ করে ঠান্ডা করুন এবং ভালোভাবে মুছে নিন।
# আলুগুলো মিহি করে মাখুন যাতে কোন গুঁড়ো না থাকে।
# পেঁয়াজ, কাঁচা মরিচ, ধনে পাতা, হলুদ গুঁড়ো ও লবণ আলুর সঙ্গে মেশান।
# ময়দা দিয়ে মিশ্রণ আঠালো করুন যাতে বড়া তৈরি সহজ হয়।
# হাত ভিজিয়ে ছোট ছোট গোল বড়া বানান।
# একটি পাত্রে সরষের তেল গরম করে মাঝারি আঁচে বড়াগুলো সোনালী ও তীব্র হওয়া পর্যন্ত ভাজুন।
# ভাজা হয়ে গেলে তেল শুষে নিন।
== পরিবেশন ==
গরম গরম আলুর বড়া ভাত বা রুটির সঙ্গে পরিবেশন করুন। এটি যেকোনো প্রধান খাবারের স্বাদ বাড়িয়ে দেয়।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:সহপাক]]
[[Category:বাংলাদেশী খাবার]]
4d5vrha9r0n6zh78ew8j0rvdkbo1uk6
84500
84499
2025-06-17T00:33:45Z
Mehedi Abedin
7113
84500
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = পার্শ্বপদ
| পরিবেশন = ৪ জন
| তৈরির সময় = ৩০ মিনিট
| কষ্টসাধ্য = 2
| খাদ্য শক্তি = মাঝারি
| টীকা = বাংলাদেশের জনপ্রিয় সহপাক, যা যেকোনো প্রধান খাবারের সঙ্গে পরিবেশন করা যায়। আলুর মাখা ঘন মশলার মিশ্রণে ভাজা হলে এটি মচমচে ও স্বাদে অনন্য হয়।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''আলুর বড়া'''</big></center>
আলুর বড়া বাংলাদেশের সাধারণ ও জনপ্রিয় পার্শ্ব পদগুলোর মধ্যে একটি। বিশেষত বাংলার ঘরোয়া রান্নায় এটি অনেকখানি প্রিয়। আলু মাখা মশলার সাথে মিহি মসলার সংমিশ্রণে তৈরি বড়া ভাজা হলে সুস্বাদু ও তীব্র স্বাদের প্রতিচ্ছবি ফুটে ওঠে। সাধারণত ভাত বা পরোটার সঙ্গে পরিবেশন করা হয়।
== উপকরণ ==
{|class="wikitable"
! নাম !! পরিমাণ
|-
| আলু (মাঝারি আকারের) || ৪টি
|-
| পেঁয়াজ (মিহি কাটা) || ১টি
|-
| কাঁচা মরিচ (স্বাদমতো কাটা) || ২-৩টি
|-
| ধনে পাতা (কাটা) || ২ টেবিল চামচ
|-
| হলুদ গুঁড়ো || ১/২ চা চামচ
|-
| লবণ || স্বাদমতো
|-
| সরষের তেল / সয়াবিন তেল || ভাজার জন্য প্রয়োজন মতো
|-
| ময়দা || ২ টেবিল চামচ (আঠা বাঁধানোর জন্য)
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# আলুগুলো সিদ্ধ করে ঠান্ডা করুন এবং ভালোভাবে মুছে নিন।
# আলুগুলো মিহি করে মাখুন যাতে কোন গুঁড়ো না থাকে।
# পেঁয়াজ, কাঁচা মরিচ, ধনে পাতা, হলুদ গুঁড়ো ও লবণ আলুর সঙ্গে মেশান।
# ময়দা দিয়ে মিশ্রণ আঠালো করুন যাতে বড়া তৈরি সহজ হয়।
# হাত ভিজিয়ে ছোট ছোট গোল বড়া বানান।
# একটি পাত্রে সরষের তেল গরম করে মাঝারি আঁচে বড়াগুলো সোনালী ও তীব্র হওয়া পর্যন্ত ভাজুন।
# ভাজা হয়ে গেলে তেল শুষে নিন।
<span style=color:red;><center>'''গরম গরম আলুর বড়া ভাত বা রুটির সঙ্গে পরিবেশন করুন।'''</center></span>
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:সহপাক]]
[[Category:বাংলাদেশী খাবার]]
06lxg8vwdos4dditvqwhwrxfzo19ba9
রন্ধনপ্রণালী:মেওয়া লাড্ডু
104
24775
84497
77820
2025-06-17T00:32:21Z
Mehedi Abedin
7113
84497
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = মিষ্টান্ন
| পরিবেশন = ৫–৬ জন
| তৈরির সময় = ১ ঘণ্টা
| কষ্টসাধ্য = ৩
| খাদ্য শক্তি = উচ্চ
| টীকা = খোয়া ক্ষীর দিয়ে তৈরি মেওয়া লাড্ডু একটি ঐতিহ্যবাহী মিষ্টান্ন, যা উৎসব, পূজা ও অতিথি আপ্যায়নের জন্য আদর্শ।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''মেওয়া লাড্ডু'''</big></center>
মেওয়া লাড্ডু একটি ঘন ও উচ্চ স্বাদের মিষ্টান্ন, যা ভারতের নানা অঞ্চলে যেমন বিহার, উত্তর প্রদেশ, রাজস্থান ইত্যাদিতে উৎসবের সময় প্রচলিত, তেমনি বাংলাদেশেও পূজা-পার্বণ বা বিশেষ অনুষ্ঠানে পরিবেশিত হয়। এটি তৈরি হয় খোয়া ক্ষীর, চিনি ও নানা ধরণের বাদাম মিশিয়ে। এর স্বাদ যেমন গভীর, তেমনই দেখতে চমৎকার। শিশুরা থেকে শুরু করে বড়রাও সমানভাবে উপভোগ করে এই সুস্বাদু লাড্ডু।
== উপকরণ ==
{|class="wikitable"
! উপকরণ !! পরিমাণ
|-
| খোয়া ক্ষীর || ৫০০ গ্রাম
|-
| চিনি || ১/২ কাপ (পরিমাণ সামঞ্জস্যযোগ্য)
|-
| কাজু বাদাম কুচি || ২ টেবিল চামচ
|-
| পেস্তা বাদাম কুচি || ২ টেবিল চামচ
|-
| নারকেল কোরা (শুকনো) || ৩ টেবিল চামচ
|-
| এলাচ গুঁড়া || ১/২ চা চামচ
|-
| ঘি || ৩ টেবিল চামচ
|-
| কিশমিশ || ১ টেবিল চামচ
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# একটি পাত্রে ঘি গরম করে তাতে খোয়া ক্ষীর দিন এবং নাড়তে থাকুন যতক্ষণ না তা হালকা বাদামী ও ঘন হয়ে আসে।
# এরপর এতে চিনি দিয়ে মেশাতে থাকুন। চিনি গলে গেলে এবং খোয়া ক্ষীর থেকে আলাদা হতে শুরু করলে বাদাম কুচি, কিশমিশ ও এলাচ গুঁড়া দিয়ে দিন।
# ভালোভাবে মিশিয়ে ৫ মিনিট কম আঁচে রান্না করুন। খোয়া ক্ষীর মিশ্রণটি পাত্রের গায়ে লেগে না থাকলে বুঝবেন এটি তৈরি।
# চুলা থেকে নামিয়ে হালকা গরম অবস্থায় হাত দিয়ে ছোট ছোট গোল আকারে লাড্ডু তৈরি করুন।
# চাইলে নারকেল কোরা দিয়ে প্রতিটি লাড্ডু মোড়াতে পারেন।
== পরিবেশন ==
মেওয়া লাড্ডু পরিবেশন করা যায় পূজা, জন্মদিন, উৎসব কিংবা অতিথি আপ্যায়নের সময়। এটি সাধারণত ঠান্ডা খাওয়া হয়, তবে হালকা গরমেও খেতে সুস্বাদু।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:মিষ্টান্ন]]
[[Category:ঐতিহ্যবাহী খাবার]]
[[Category:উৎসবের পদ]]
73xj8ipleh59dxm1r5dlkjdwugypd28
84498
84497
2025-06-17T00:33:03Z
Mehedi Abedin
7113
84498
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = মিষ্টান্ন
| পরিবেশন = ৫–৬ জন
| তৈরির সময় = ১ ঘণ্টা
| কষ্টসাধ্য = ৩
| খাদ্য শক্তি = উচ্চ
| টীকা = খোয়া ক্ষীর দিয়ে তৈরি মেওয়া লাড্ডু একটি ঐতিহ্যবাহী মিষ্টান্ন, যা উৎসব, পূজা ও অতিথি আপ্যায়নের জন্য আদর্শ।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''মেওয়া লাড্ডু'''</big></center>
মেওয়া লাড্ডু একটি ঘন ও উচ্চ স্বাদের মিষ্টান্ন, যা ভারতের নানা অঞ্চলে যেমন বিহার, উত্তর প্রদেশ, রাজস্থান ইত্যাদিতে উৎসবের সময় প্রচলিত, তেমনি বাংলাদেশেও পূজা-পার্বণ বা বিশেষ অনুষ্ঠানে পরিবেশিত হয়। এটি তৈরি হয় খোয়া ক্ষীর, চিনি ও নানা ধরণের বাদাম মিশিয়ে। এর স্বাদ যেমন গভীর, তেমনই দেখতে চমৎকার। শিশুরা থেকে শুরু করে বড়রাও সমানভাবে উপভোগ করে এই সুস্বাদু লাড্ডু।
== উপকরণ ==
{|class="wikitable"
! উপকরণ !! পরিমাণ
|-
| খোয়া ক্ষীর || ৫০০ গ্রাম
|-
| চিনি || ১/২ কাপ (পরিমাণ সামঞ্জস্যযোগ্য)
|-
| কাজু বাদাম কুচি || ২ টেবিল চামচ
|-
| পেস্তা বাদাম কুচি || ২ টেবিল চামচ
|-
| নারকেল কোরা (শুকনো) || ৩ টেবিল চামচ
|-
| এলাচ গুঁড়া || ১/২ চা চামচ
|-
| ঘি || ৩ টেবিল চামচ
|-
| কিশমিশ || ১ টেবিল চামচ
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# একটি পাত্রে ঘি গরম করে তাতে খোয়া ক্ষীর দিন এবং নাড়তে থাকুন যতক্ষণ না তা হালকা বাদামী ও ঘন হয়ে আসে।
# এরপর এতে চিনি দিয়ে মেশাতে থাকুন। চিনি গলে গেলে এবং খোয়া ক্ষীর থেকে আলাদা হতে শুরু করলে বাদাম কুচি, কিশমিশ ও এলাচ গুঁড়া দিয়ে দিন।
# ভালোভাবে মিশিয়ে ৫ মিনিট কম আঁচে রান্না করুন। খোয়া ক্ষীর মিশ্রণটি পাত্রের গায়ে লেগে না থাকলে বুঝবেন এটি তৈরি।
# চুলা থেকে নামিয়ে হালকা গরম অবস্থায় হাত দিয়ে ছোট ছোট গোল আকারে লাড্ডু তৈরি করুন।
# চাইলে নারকেল কোরা দিয়ে প্রতিটি লাড্ডু মোড়াতে পারেন।
<span style=color:red;><center>'''ঠান্ডা করে পরিবেশন করুন।'''</center></span>
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:মিষ্টান্ন]]
[[Category:ঐতিহ্যবাহী খাবার]]
[[Category:উৎসবের পদ]]
iwm93u16oc0y50at887g7gei5xddvly
রন্ধনপ্রণালী:ধনেপাতার মুরগী
104
24777
84495
84393
2025-06-17T00:31:32Z
Mehedi Abedin
7113
84495
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = প্রধান খাবার
| পরিবেশন = ৪–৫ জন
| তৈরির সময় = ১ ঘণ্টা ১৫ মিনিট
| কষ্টসাধ্য = ৩
| খাদ্য শক্তি = উচ্চ
| টীকা = ঘন ও সুগন্ধযুক্ত গ্রামীণ খাবার, যা ধনেপাতা ও মসলার অনন্য সংমিশ্রণে তৈরি হয়।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''ধনেপাতার মুরগি'''</big></center>
ধনেপাতার মুরগি এমন একটি ঘ্রাণভরা ও মসলা সমৃদ্ধ রান্না, যা স্বাদে ও রঙে অনন্য। গ্রামীণ পরিবেশে অনেক পরিবারে এটি বিশেষ দিনে রান্না করা হয়। ধনেপাতা মিশ্রিত মসলায় মুরগির টুকরোগুলি লম্বা সময় ধরে রেখে দিলে মাংসে সুগন্ধি মসলা গভীরভাবে ঢুকে যায় এবং রান্নার পর সেই স্বাদ অসাধারণ রকমে মুখে লেগে থাকে। এটি সাধারণত ভাত বা পরোটার সাথে পরিবেশন করা হয়।
== উপকরণ ==
{|class="wikitable"
! উপকরণ !! পরিমাণ
|-
| মুরগির মাংস (ছোট টুকরো) || ১ কেজি
|-
| ধনেপাতা বাটা || ১ কাপ
|-
| পেঁয়াজ কুচি || ১ কাপ
|-
| রসুন বাটা || ১ টেবিল চামচ
|-
| আদা বাটা || ১ টেবিল চামচ
|-
| কাঁচা মরিচ বাটা || ২ চা চামচ
|-
| টক দই || ১/২ কাপ
|-
| ধনে গুঁড়া || ১ চা চামচ
|-
| জিরা গুঁড়া || ১/২ চা চামচ
|-
| লবণ || স্বাদমতো
|-
| রান্নার তেল || ১/২ কাপ
|-
| ঘি || ১ টেবিল চামচ (ঐচ্ছিক)
|-
| গরম মসলা গুঁড়া || ১/২ চা চামচ
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# প্রথমে মুরগির টুকরোগুলি ভালো করে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিতে হবে।
# একটি বড় বাটিতে ধনেপাতা বাটা, টক দই, আদা ও রসুন বাটা, কাঁচা মরিচ বাটা, ধনে গুঁড়া, জিরা গুঁড়া ও লবণ দিয়ে মসলা তৈরি করুন।
# এরপর সেই মসলার মিশ্রণে মুরগির টুকরোগুলো ভালোভাবে মাখিয়ে দিন এবং ঢেকে অন্তত ৩০–৪০ মিনিট রেখে দিন যাতে মসলা মাংসের গভীরে ঢুকে যায়।
# এবার একটি হাঁড়িতে তেল গরম করে তাতে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে হালকা বাদামী করে ভেজে নিন।
# ভাজা হয়ে গেলে মসলা মাখানো মুরগি দিন এবং ভালোভাবে নাড়তে থাকুন।
# ঢেকে দিন এবং মাঝারি আঁচে রান্না করুন যতক্ষণ না মাংস সম্পূর্ণ সেদ্ধ হয় ও তেল ওপরে উঠে আসে।
# রান্নার একদম শেষে গরম মসলা গুঁড়া ও সামান্য ঘি ছিটিয়ে ৫ মিনিট রেখে দিন ঢেকে।
== পরিবেশন ==
এই মজাদার ধনেপাতার মুরগি গরম ভাত, পরোটা বা পোলাওয়ের সঙ্গে পরিবেশন করুন। সুগন্ধি ধনেপাতা ও মশলার ঘ্রাণ এই পদকে করে তোলে অতিথি আপ্যায়নের জন্য একদম উপযুক্ত।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:প্রধান খাবার]]
[[Category:বাংলাদেশী মুরগির পদ]]
[[Category:ঐতিহ্যবাহী খাবার]]
1z1blhvy23ppibwqowv3lsjxz4ssmxg
84496
84495
2025-06-17T00:31:55Z
Mehedi Abedin
7113
84496
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = প্রধান খাবার
| পরিবেশন = ৪–৫ জন
| তৈরির সময় = ১ ঘণ্টা ১৫ মিনিট
| কষ্টসাধ্য = ৩
| খাদ্য শক্তি = উচ্চ
| টীকা = ঘন ও সুগন্ধযুক্ত গ্রামীণ খাবার, যা ধনেপাতা ও মসলার অনন্য সংমিশ্রণে তৈরি হয়।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''ধনেপাতার মুরগি'''</big></center>
ধনেপাতার মুরগি এমন একটি ঘ্রাণভরা ও মসলা সমৃদ্ধ রান্না, যা স্বাদে ও রঙে অনন্য। গ্রামীণ পরিবেশে অনেক পরিবারে এটি বিশেষ দিনে রান্না করা হয়। ধনেপাতা মিশ্রিত মসলায় মুরগির টুকরোগুলি লম্বা সময় ধরে রেখে দিলে মাংসে সুগন্ধি মসলা গভীরভাবে ঢুকে যায় এবং রান্নার পর সেই স্বাদ অসাধারণ রকমে মুখে লেগে থাকে। এটি সাধারণত ভাত বা পরোটার সাথে পরিবেশন করা হয়।
== উপকরণ ==
{|class="wikitable"
! উপকরণ !! পরিমাণ
|-
| মুরগির মাংস (ছোট টুকরো) || ১ কেজি
|-
| ধনেপাতা বাটা || ১ কাপ
|-
| পেঁয়াজ কুচি || ১ কাপ
|-
| রসুন বাটা || ১ টেবিল চামচ
|-
| আদা বাটা || ১ টেবিল চামচ
|-
| কাঁচা মরিচ বাটা || ২ চা চামচ
|-
| টক দই || ১/২ কাপ
|-
| ধনে গুঁড়া || ১ চা চামচ
|-
| জিরা গুঁড়া || ১/২ চা চামচ
|-
| লবণ || স্বাদমতো
|-
| রান্নার তেল || ১/২ কাপ
|-
| ঘি || ১ টেবিল চামচ (ঐচ্ছিক)
|-
| গরম মসলা গুঁড়া || ১/২ চা চামচ
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# প্রথমে মুরগির টুকরোগুলি ভালো করে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিতে হবে।
# একটি বড় বাটিতে ধনেপাতা বাটা, টক দই, আদা ও রসুন বাটা, কাঁচা মরিচ বাটা, ধনে গুঁড়া, জিরা গুঁড়া ও লবণ দিয়ে মসলা তৈরি করুন।
# এরপর সেই মসলার মিশ্রণে মুরগির টুকরোগুলো ভালোভাবে মাখিয়ে দিন এবং ঢেকে অন্তত ৩০–৪০ মিনিট রেখে দিন যাতে মসলা মাংসের গভীরে ঢুকে যায়।
# এবার একটি হাঁড়িতে তেল গরম করে তাতে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে হালকা বাদামী করে ভেজে নিন।
# ভাজা হয়ে গেলে মসলা মাখানো মুরগি দিন এবং ভালোভাবে নাড়তে থাকুন।
# ঢেকে দিন এবং মাঝারি আঁচে রান্না করুন যতক্ষণ না মাংস সম্পূর্ণ সেদ্ধ হয় ও তেল ওপরে উঠে আসে।
# রান্নার একদম শেষে গরম মসলা গুঁড়া ও সামান্য ঘি ছিটিয়ে ৫ মিনিট রেখে দিন ঢেকে।
<span style=color:red;><center>'''গরম ভাত, পরোটা বা পোলাওয়ের সঙ্গে পরিবেশন করুন।'''</center></span>
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:প্রধান খাবার]]
[[Category:বাংলাদেশী মুরগির পদ]]
[[Category:ঐতিহ্যবাহী খাবার]]
75vnxp976llcyd260ijb94bro07gvw0
রন্ধনপ্রণালী:চিংড়ি নারকেল ঝোল
104
24781
84493
84397
2025-06-17T00:30:34Z
Mehedi Abedin
7113
84493
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = মূল খাবার
| পরিবেশন = ৪–৫ জন
| তৈরির সময় = ১ ঘণ্টা ১০ মিনিট
| কষ্টসাধ্য = ৩
| খাদ্য শক্তি = মাঝারি
| টীকা = ঐতিহ্যবাহী ও জনপ্রিয় সামুদ্রিক খাবার, যেখানে চিংড়ির সঙ্গে নারকেলের দুধ ও মসলা মিশে তৈরি হয় অপূর্ব স্বাদ।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''চিংড়ি নারকেল ঝোল'''</big></center>
চিংড়ি নারকেল ঝোল এক অত্যন্ত জনপ্রিয় ও ঘ্রাণযুক্ত পদ, যা সাধারণত মধ্যাহ্নভোজ বা রাত্রিভোজে ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করা হয়। চিংড়ির নিজস্ব স্বাদে নারকেলের দুধ ও ঘরোয়া মসলার মিশ্রণ এই রান্নাটিকে এক অনন্য স্বাদের স্তরে নিয়ে যায়। এটি শুধু রসনাতৃপ্তি নয়, বরং বাঙালি সংস্কৃতির একটা অংশ হিসেবেও বিবেচিত।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! উপকরণ !! পরিমাণ
|-
| বড় চিংড়ি মাছ || ৬–৮টি
|-
| পেঁয়াজ বাটা || ১/২ কাপ
|-
| রসুন বাটা || ১ চা চামচ
|-
| আদা বাটা || ১ চা চামচ
|-
| শুকনা মরিচ গুঁড়ো || ১ চা চামচ
|-
| হলুদ গুঁড়ো || ১/২ চা চামচ
|-
| জিরা গুঁড়ো || ১/২ চা চামচ
|-
| লবণ || স্বাদমতো
|-
| নারকেলের দুধ || ১ কাপ
|-
| সরিষার তেল || ৩ টেবিল চামচ
|-
| তেজপাতা || ২টি
|-
| এলাচ ও দারুচিনি || ১টি করে
|-
| কাঁচা মরিচ || ৪টি (ফাটা)
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# প্রথমে চিংড়ি মাছ পরিষ্কার করে লবণ ও হলুদ মেখে কিছুক্ষণ রেখে দিন।
# এবার একটি হাঁড়িতে সরিষার তেল গরম করে চিংড়ি হালকা ভেজে তুলে রাখুন।
# একই তেলে তেজপাতা, এলাচ ও দারুচিনি ফোড়ন দিন। এরপর পেঁয়াজ বাটা, রসুন বাটা, আদা বাটা দিয়ে ভালো করে কষাতে থাকুন।
# মসলার কষানো হলে শুকনা মরিচ, জিরা গুঁড়ো, লবণ, হলুদ গুঁড়ো দিয়ে ভালো করে নাড়ুন এবং সামান্য পানি দিয়ে কষান।
# মসলা থেকে তেল ছেড়ে এলে ভাজা চিংড়ি মাছ দিন এবং কয়েক মিনিট নাড়ুন।
# এবার নারকেলের দুধ ঢেলে ঢেকে দিন এবং অল্প আঁচে ১০–১৫ মিনিট রান্না করুন।
# কাঁচা মরিচ দিন রান্না শেষে।
== পরিবেশন ==
চিংড়ি নারকেল ঝোল গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করা যায়। এটি পোলাও কিংবা পাতলা চালের ভাতেও দারুণ মানিয়ে যায়। অতিথি আপ্যায়ন বা উৎসবের জন্য এটি হতে পারে এক বিলাসবহুল পরিবেশন।
== পরামর্শ ==
* নারকেলের দুধ বেশি ফুটলে ছড়িয়ে যেতে পারে, তাই আঁচ মাঝারি রাখুন।
* বড় চিংড়ির পরিবর্তে মাঝারি আকারের চিংড়িও ব্যবহার করা যায়।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:বাংলাদেশী মাছের রান্না]]
[[Category:ঐতিহ্যবাহী খাবার]]
[[Category:পুষ্টিকর রান্না]]
[[বিষয়শ্রেণী:মাছ রন্ধনপ্রণালী]]
5r00mnd167ydqpgph2mjdmd5zzoxifs
84494
84493
2025-06-17T00:31:09Z
Mehedi Abedin
7113
84494
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = মূল খাবার
| পরিবেশন = ৪–৫ জন
| তৈরির সময় = ১ ঘণ্টা ১০ মিনিট
| কষ্টসাধ্য = ৩
| খাদ্য শক্তি = মাঝারি
| টীকা = ঐতিহ্যবাহী ও জনপ্রিয় সামুদ্রিক খাবার, যেখানে চিংড়ির সঙ্গে নারকেলের দুধ ও মসলা মিশে তৈরি হয় অপূর্ব স্বাদ।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''চিংড়ি নারকেল ঝোল'''</big></center>
চিংড়ি নারকেল ঝোল এক অত্যন্ত জনপ্রিয় ও ঘ্রাণযুক্ত পদ, যা সাধারণত মধ্যাহ্নভোজ বা রাত্রিভোজে ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করা হয়। চিংড়ির নিজস্ব স্বাদে নারকেলের দুধ ও ঘরোয়া মসলার মিশ্রণ এই রান্নাটিকে এক অনন্য স্বাদের স্তরে নিয়ে যায়। এটি শুধু রসনাতৃপ্তি নয়, বরং বাঙালি সংস্কৃতির একটা অংশ হিসেবেও বিবেচিত।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! উপকরণ !! পরিমাণ
|-
| বড় চিংড়ি মাছ || ৬–৮টি
|-
| পেঁয়াজ বাটা || ১/২ কাপ
|-
| রসুন বাটা || ১ চা চামচ
|-
| আদা বাটা || ১ চা চামচ
|-
| শুকনা মরিচ গুঁড়ো || ১ চা চামচ
|-
| হলুদ গুঁড়ো || ১/২ চা চামচ
|-
| জিরা গুঁড়ো || ১/২ চা চামচ
|-
| লবণ || স্বাদমতো
|-
| নারকেলের দুধ || ১ কাপ
|-
| সরিষার তেল || ৩ টেবিল চামচ
|-
| তেজপাতা || ২টি
|-
| এলাচ ও দারুচিনি || ১টি করে
|-
| কাঁচা মরিচ || ৪টি (ফাটা)
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# প্রথমে চিংড়ি মাছ পরিষ্কার করে লবণ ও হলুদ মেখে কিছুক্ষণ রেখে দিন।
# এবার একটি হাঁড়িতে সরিষার তেল গরম করে চিংড়ি হালকা ভেজে তুলে রাখুন।
# একই তেলে তেজপাতা, এলাচ ও দারুচিনি ফোড়ন দিন। এরপর পেঁয়াজ বাটা, রসুন বাটা, আদা বাটা দিয়ে ভালো করে কষাতে থাকুন।
# মসলার কষানো হলে শুকনা মরিচ, জিরা গুঁড়ো, লবণ, হলুদ গুঁড়ো দিয়ে ভালো করে নাড়ুন এবং সামান্য পানি দিয়ে কষান।
# মসলা থেকে তেল ছেড়ে এলে ভাজা চিংড়ি মাছ দিন এবং কয়েক মিনিট নাড়ুন।
# এবার নারকেলের দুধ ঢেলে ঢেকে দিন এবং অল্প আঁচে ১০–১৫ মিনিট রান্না করুন।
# কাঁচা মরিচ দিন রান্না শেষে।
<span style=color:red;><center>'''গরম ভাত, পোলাও বা পাতলা চালের সঙ্গে পরিবেশন করুন।'''</center></span>
== পরামর্শ ==
* নারকেলের দুধ বেশি ফুটলে ছড়িয়ে যেতে পারে, তাই আঁচ মাঝারি রাখুন।
* বড় চিংড়ির পরিবর্তে মাঝারি আকারের চিংড়িও ব্যবহার করা যায়।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:বাংলাদেশী মাছের রান্না]]
[[Category:ঐতিহ্যবাহী খাবার]]
[[Category:পুষ্টিকর রান্না]]
[[বিষয়শ্রেণী:মাছ রন্ধনপ্রণালী]]
czezd19yatvsulibr4xu798ii54qy4f
রন্ধনপ্রণালী:ক্ষীরশাপটা
104
24784
84438
77836
2025-06-16T22:58:36Z
Mehedi Abedin
7113
84438
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = মিষ্টান্ন
| পরিবেশন = ৬ জন
| তৈরির সময় = ১ ঘণ্টা ১৫ মিনিট
| কষ্টসাধ্য = ৩
| খাদ্য শক্তি = বেশি
| টীকা = ঐতিহ্যবাহী ও অভিনব বাঙালি মিষ্টান্ন, যা পাতলা চালের পিঠা ও ঘন দুধের মিশ্রণে তৈরি হয়।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''ক্ষীরশাপটা'''</big></center>
ক্ষীরশাপটা একটি অভিনব ও প্রাচীন বাঙালি মিষ্টান্ন, যা বিশেষ করে পূজা-পার্বণ বা উৎসবের সময় তৈরি হয়। এই রেসিপিতে পাতলা পিঠার ভিতরে ঘন ক্ষীরের স্বাদ জড়িয়ে থাকে, যা খেতে মিহি এবং দুধের ঘ্রাণে ভরপুর। এটি সাধারণ পিঠার চেয়ে স্বাদে, গন্ধে ও গঠনে ভিন্ন এবং অনেকাংশে রাজকীয় অনুভূতি নিয়ে আসে।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! উপকরণ !! পরিমাণ
|-
| আতপ চালের গুঁড়ো || ১ কাপ
|-
| গমের ময়দা || ১/২ কাপ
|-
| দুধ || ১ লিটার
|-
| চিনি || ১/২ কাপ (বা স্বাদমতো)
|-
| খোয়া ক্ষীর || ১/২ কাপ
|-
| এলাচ গুঁড়ো || ১/৪ চা চামচ
|-
| ঘি || ২ টেবিল চামচ
|-
| জল || পরিমাণমতো (ব্যাটার তৈরি করতে)
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# প্রথমে চালের গুঁড়ো ও ময়দা একসঙ্গে মিশিয়ে জল দিয়ে পাতলা ব্যাটার তৈরি করুন। এটি ঢেলে রেখে দিন ১৫ মিনিট।
# অন্যদিকে একটি হাঁড়িতে দুধ জ্বাল দিয়ে অর্ধেক পরিমাণে নামিয়ে আনুন। খোয়া ক্ষীর ও চিনি দিয়ে দিন ও নাড়তে থাকুন যতক্ষণ না মিশ্রণ ঘন হয়।
# এলাচ গুঁড়ো দিয়ে দিন এবং ঠান্ডা হতে দিন। এটি হবে ক্ষীর বা পুর অংশ।
# এবার পাতলা ব্যাটার দিয়ে ছোট ছোট পাতলা পিঠা তৈরি করুন (একটু ঘি মাখানো গরম তাওয়াতে) এবং ঠান্ডা হলে তার মধ্যে ক্ষীর ভরে রোল করুন।
# সবগুলো রোল তৈরি হয়ে গেলে একটু গরম দুধের উপর সাজিয়ে পরিবেশন করুন।
== পরিবেশন ==
ক্ষীরশাপটা পরিবেশন করা হয় ঠান্ডা অবস্থায়, অথবা হালকা গরম গরম দুধের সঙ্গে। এটি মিষ্টান্ন হিসেবে ভোজনান্তে পরিবেশন করা হয়, বিশেষ করে অতিথি বা বড়দের জন্য।
== পরামর্শ ==
* দুধ যেন নিচে লেগে না যায়, তাই ক্রমাগত নাড়তে হবে।
* খোয়া ক্ষীর না থাকলে কনডেন্সড মিল্ক ব্যবহার করা যেতে পারে, তবে পরিমাণমতো চিনি কমাতে হবে।
== স্বাস্থ্য আলোচনা ==
এই মিষ্টান্নে দুধ, চাল ও খোয়া ক্ষীর থাকায় এটি ক্যালসিয়াম ও শক্তিতে ভরপুর। শিশুদের বৃদ্ধিতে সহায়ক হলেও ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য একেবারে পরামর্শযোগ্য নয়। ঘন দুধ ও মিষ্টি থাকায় এটি মাঝে মধ্যে খাওয়া ভালো, তবে নিয়মিত খাওয়া হলে ওজন ও রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়তে পারে। তবে উৎসব বা বিশেষ দিনে এমন একটি ঐতিহ্যবাহী পদ একবার চেখে দেখা অবশ্যই প্রয়োজন।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:বাংলাদেশি মিষ্টান্ন]]
[[Category:ঐতিহ্যবাহী খাবার]]
[[Category:দুধজাত পদ]]
arqe88ix68ed5hzygxaxw822yd39bai
84491
84438
2025-06-17T00:29:32Z
Mehedi Abedin
7113
84491
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = মিষ্টান্ন
| পরিবেশন = ৬ জন
| তৈরির সময় = ১ ঘণ্টা ১৫ মিনিট
| কষ্টসাধ্য = ৩
| খাদ্য শক্তি = বেশি
| টীকা = ঐতিহ্যবাহী ও অভিনব বাঙালি মিষ্টান্ন, যা পাতলা চালের পিঠা ও ঘন দুধের মিশ্রণে তৈরি হয়।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''ক্ষীরশাপটা'''</big></center>
ক্ষীরশাপটা একটি অভিনব ও প্রাচীন বাঙালি মিষ্টান্ন, যা বিশেষ করে পূজা-পার্বণ বা উৎসবের সময় তৈরি হয়। এই রেসিপিতে পাতলা পিঠার ভিতরে ঘন ক্ষীরের স্বাদ জড়িয়ে থাকে, যা খেতে মিহি এবং দুধের ঘ্রাণে ভরপুর। এটি সাধারণ পিঠার চেয়ে স্বাদে, গন্ধে ও গঠনে ভিন্ন এবং অনেকাংশে রাজকীয় অনুভূতি নিয়ে আসে।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! উপকরণ !! পরিমাণ
|-
| আতপ চালের গুঁড়ো || ১ কাপ
|-
| গমের ময়দা || ১/২ কাপ
|-
| দুধ || ১ লিটার
|-
| চিনি || ১/২ কাপ (বা স্বাদমতো)
|-
| খোয়া ক্ষীর || ১/২ কাপ
|-
| এলাচ গুঁড়ো || ১/৪ চা চামচ
|-
| ঘি || ২ টেবিল চামচ
|-
| জল || পরিমাণমতো (ব্যাটার তৈরি করতে)
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# প্রথমে চালের গুঁড়ো ও ময়দা একসঙ্গে মিশিয়ে জল দিয়ে পাতলা ব্যাটার তৈরি করুন। এটি ঢেলে রেখে দিন ১৫ মিনিট।
# অন্যদিকে একটি হাঁড়িতে দুধ জ্বাল দিয়ে অর্ধেক পরিমাণে নামিয়ে আনুন। খোয়া ক্ষীর ও চিনি দিয়ে দিন ও নাড়তে থাকুন যতক্ষণ না মিশ্রণ ঘন হয়।
# এলাচ গুঁড়ো দিয়ে দিন এবং ঠান্ডা হতে দিন। এটি হবে ক্ষীর বা পুর অংশ।
# এবার পাতলা ব্যাটার দিয়ে ছোট ছোট পাতলা পিঠা তৈরি করুন (একটু ঘি মাখানো গরম তাওয়াতে) এবং ঠান্ডা হলে তার মধ্যে ক্ষীর ভরে রোল করুন।
# সবগুলো রোল তৈরি হয়ে গেলে একটু গরম দুধের উপর সাজিয়ে পরিবেশন করুন।
== পরিবেশন ==
ক্ষীরশাপটা পরিবেশন করা হয় ঠান্ডা অবস্থায়, অথবা হালকা গরম গরম দুধের সঙ্গে। এটি মিষ্টান্ন হিসেবে ভোজনান্তে পরিবেশন করা হয়, বিশেষ করে অতিথি বা বড়দের জন্য।
== পরামর্শ ==
* দুধ যেন নিচে লেগে না যায়, তাই ক্রমাগত নাড়তে হবে।
* খোয়া ক্ষীর না থাকলে কনডেন্সড মিল্ক ব্যবহার করা যেতে পারে, তবে পরিমাণমতো চিনি কমাতে হবে।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:বাংলাদেশি মিষ্টান্ন]]
[[Category:ঐতিহ্যবাহী খাবার]]
[[Category:দুধজাত পদ]]
tl3ahawwf2t5m5pzoyfzp54bpb1xjfq
84492
84491
2025-06-17T00:30:08Z
Mehedi Abedin
7113
84492
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = মিষ্টান্ন
| পরিবেশন = ৬ জন
| তৈরির সময় = ১ ঘণ্টা ১৫ মিনিট
| কষ্টসাধ্য = ৩
| খাদ্য শক্তি = বেশি
| টীকা = ঐতিহ্যবাহী ও অভিনব বাঙালি মিষ্টান্ন, যা পাতলা চালের পিঠা ও ঘন দুধের মিশ্রণে তৈরি হয়।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''ক্ষীরশাপটা'''</big></center>
ক্ষীরশাপটা একটি অভিনব ও প্রাচীন বাঙালি মিষ্টান্ন, যা বিশেষ করে পূজা-পার্বণ বা উৎসবের সময় তৈরি হয়। এই রেসিপিতে পাতলা পিঠার ভিতরে ঘন ক্ষীরের স্বাদ জড়িয়ে থাকে, যা খেতে মিহি এবং দুধের ঘ্রাণে ভরপুর। এটি সাধারণ পিঠার চেয়ে স্বাদে, গন্ধে ও গঠনে ভিন্ন এবং অনেকাংশে রাজকীয় অনুভূতি নিয়ে আসে।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! উপকরণ !! পরিমাণ
|-
| আতপ চালের গুঁড়ো || ১ কাপ
|-
| গমের ময়দা || ১/২ কাপ
|-
| দুধ || ১ লিটার
|-
| চিনি || ১/২ কাপ (বা স্বাদমতো)
|-
| খোয়া ক্ষীর || ১/২ কাপ
|-
| এলাচ গুঁড়ো || ১/৪ চা চামচ
|-
| ঘি || ২ টেবিল চামচ
|-
| জল || পরিমাণমতো (ব্যাটার তৈরি করতে)
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# প্রথমে চালের গুঁড়ো ও ময়দা একসঙ্গে মিশিয়ে জল দিয়ে পাতলা ব্যাটার তৈরি করুন। এটি ঢেলে রেখে দিন ১৫ মিনিট।
# অন্যদিকে একটি হাঁড়িতে দুধ জ্বাল দিয়ে অর্ধেক পরিমাণে নামিয়ে আনুন। খোয়া ক্ষীর ও চিনি দিয়ে দিন ও নাড়তে থাকুন যতক্ষণ না মিশ্রণ ঘন হয়।
# এলাচ গুঁড়ো দিয়ে দিন এবং ঠান্ডা হতে দিন। এটি হবে ক্ষীর বা পুর অংশ।
# এবার পাতলা ব্যাটার দিয়ে ছোট ছোট পাতলা পিঠা তৈরি করুন (একটু ঘি মাখানো গরম তাওয়াতে) এবং ঠান্ডা হলে তার মধ্যে ক্ষীর ভরে রোল করুন।
# সবগুলো রোল তৈরি হয়ে গেলে একটু গরম দুধের উপর সাজিয়ে পরিবেশন করুন।
<span style=color:red;><center>'''ঠান্ডা অবস্থায় অথবা হালকা গরম গরম দুধের সঙ্গে পরিবেশন করুন।'''</center></span>
== পরামর্শ ==
* দুধ যেন নিচে লেগে না যায়, তাই ক্রমাগত নাড়তে হবে।
* খোয়া ক্ষীর না থাকলে কনডেন্সড মিল্ক ব্যবহার করা যেতে পারে, তবে পরিমাণমতো চিনি কমাতে হবে।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:বাংলাদেশি মিষ্টান্ন]]
[[Category:ঐতিহ্যবাহী খাবার]]
[[Category:দুধজাত পদ]]
fkoli43k5bxnq0aqdnd6td38vxdsisu
রন্ধনপ্রণালী:কাঁঠালের বিচির ঘন্ট
104
24786
84439
77840
2025-06-16T23:00:35Z
Mehedi Abedin
7113
84439
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = বিশেষ খাবার
| পরিবেশন = ৫ জন
| তৈরির সময় = ১ ঘণ্টা ১০ মিনিট
| কষ্টসাধ্য = ৪
| খাদ্য শক্তি = উচ্চ
| টীকা = বাঙালির গ্রামীণ ঘরের এক পুরনো স্বাদের খাবার, যা এখন শহরের রান্নাঘরেও জনপ্রিয়।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''কাঁঠালের বিচির ঘন্ট'''</big></center>
কাঁঠালের বিচি দিয়ে তৈরি এই ঘন্ট বাঙালি বাড়িতে বর্ষার শেষে এবং শরৎকালে খুব জনপ্রিয়। কাঁঠালের বিচি অর্থাৎ ‘কাঁঠালের বিচি’ পুষ্টিগুণে ভরপুর, এতে আছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার ও প্রোটিন। মসলার সাথে এই বিচির মিলনে তৈরি হয় এক অনন্য স্বাদের নিরামিষ পদ। মাঝে মাঝে এতে সামান্য চিংড়ি বা ছোট মাছও যোগ করা হয়, তবে আমরা আজ পুরোপুরি নিরামিষ ঘন্টের কথা বলব।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! উপাদান !! পরিমাণ
|-
| কাঁঠালের বিচি (সেদ্ধ করে খোসা ছাড়ানো) || ২৫০ গ্রাম
|-
| আলু (চৌকোনা) || ২টি
|-
| পেঁয়াজ কুচি || ১ কাপ
|-
| আদা বাটা || ১ টেবিল চামচ
|-
| রসুন বাটা || ১ চা চামচ
|-
| হলুদ গুঁড়ো || ১/২ চা চামচ
|-
| মরিচ গুঁড়ো || ১ চা চামচ
|-
| জিরা গুঁড়ো || ১/২ চা চামচ
|-
| গরম মসলা গুঁড়ো || ১/২ চা চামচ
|-
| তেজপাতা || ২টি
|-
| লবণ || স্বাদমতো
|-
| সরিষার তেল || ৪ টেবিল চামচ
|-
| ধনে পাতা কুচি || ২ টেবিল চামচ
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# প্রথমে কাঁঠালের বিচিগুলো ভালো করে ধুয়ে সেদ্ধ করে খোসা ছাড়িয়ে রাখুন।
# একটি পাত্রে সরিষার তেল গরম করে তেজপাতা ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে হালকা বাদামি করে ভেজে নিন।
# এরপর আদা, রসুন বাটা, হলুদ, মরিচ ও জিরা গুঁড়ো দিয়ে মসলা ভালোভাবে কষান।
# আলু যোগ করে সামান্য ভেজে নিয়ে কাঁঠালের বিচি দিয়ে ভালো করে নাড়ুন।
# লবণ মিশিয়ে ঢেকে দিন এবং মাঝারি আঁচে ২০-২৫ মিনিট রেখে দিন যাতে সব উপকরণ সেদ্ধ হয়ে একত্রে মিশে যায়।
# শেষের দিকে গরম মসলা ও ধনে পাতা ছিটিয়ে ৫ মিনিট ঢেকে রেখে নামিয়ে ফেলুন।
== পরিবেশন পরামর্শ ==
এই ঘন্ট গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করলে এর স্বাদ দ্বিগুণ হয়। নিরামিষ দিনে এটি একটি অসাধারণ পদ, যা গৃহস্থালি রান্নায় বহু বছর ধরে স্থান পেয়েছে।
== স্বাস্থ্যগত দিক ==
কাঁঠালের বিচি হজমে সহায়তা করে এবং ফাইবার ও প্রোটিন সমৃদ্ধ হওয়ায় এটি দীর্ঘক্ষণ পেট ভরে রাখে। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতেও এটি উপকারী। যেহেতু এতে মাংসজাত উপাদান নেই, এটি নিরামিষভোজীদের জন্য এক উৎকৃষ্ট বিকল্প। তবে যাদের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা রয়েছে, তারা সীমিত পরিমাণে গ্রহণ করবেন, কারণ বিচির কিছু উপাদান অতিরিক্ত গ্যাস সৃষ্টি করতে পারে।
5u61x0m9mpmfg0expgl01wa79mz1x19
84440
84439
2025-06-16T23:00:55Z
Mehedi Abedin
7113
84440
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = বিশেষ খাবার
| পরিবেশন = ৫ জন
| তৈরির সময় = ১ ঘণ্টা ১০ মিনিট
| কষ্টসাধ্য = ৪
| খাদ্য শক্তি = উচ্চ
| টীকা = বাঙালির গ্রামীণ ঘরের এক পুরনো স্বাদের খাবার, যা এখন শহরের রান্নাঘরেও জনপ্রিয়।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''কাঁঠালের বিচির ঘন্ট'''</big></center>
কাঁঠালের বিচি দিয়ে তৈরি এই ঘন্ট বাঙালি বাড়িতে বর্ষার শেষে এবং শরৎকালে খুব জনপ্রিয়। কাঁঠালের বিচি অর্থাৎ ‘কাঁঠালের বিচি’ পুষ্টিগুণে ভরপুর, এতে আছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার ও প্রোটিন। মসলার সাথে এই বিচির মিলনে তৈরি হয় এক অনন্য স্বাদের নিরামিষ পদ। মাঝে মাঝে এতে সামান্য চিংড়ি বা ছোট মাছও যোগ করা হয়, তবে আমরা আজ পুরোপুরি নিরামিষ ঘন্টের কথা বলব।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! উপাদান !! পরিমাণ
|-
| কাঁঠালের বিচি (সেদ্ধ করে খোসা ছাড়ানো) || ২৫০ গ্রাম
|-
| আলু (চৌকোনা) || ২টি
|-
| পেঁয়াজ কুচি || ১ কাপ
|-
| আদা বাটা || ১ টেবিল চামচ
|-
| রসুন বাটা || ১ চা চামচ
|-
| হলুদ গুঁড়ো || ১/২ চা চামচ
|-
| মরিচ গুঁড়ো || ১ চা চামচ
|-
| জিরা গুঁড়ো || ১/২ চা চামচ
|-
| গরম মসলা গুঁড়ো || ১/২ চা চামচ
|-
| তেজপাতা || ২টি
|-
| লবণ || স্বাদমতো
|-
| সরিষার তেল || ৪ টেবিল চামচ
|-
| ধনে পাতা কুচি || ২ টেবিল চামচ
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# প্রথমে কাঁঠালের বিচিগুলো ভালো করে ধুয়ে সেদ্ধ করে খোসা ছাড়িয়ে রাখুন।
# একটি পাত্রে সরিষার তেল গরম করে তেজপাতা ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে হালকা বাদামি করে ভেজে নিন।
# এরপর আদা, রসুন বাটা, হলুদ, মরিচ ও জিরা গুঁড়ো দিয়ে মসলা ভালোভাবে কষান।
# আলু যোগ করে সামান্য ভেজে নিয়ে কাঁঠালের বিচি দিয়ে ভালো করে নাড়ুন।
# লবণ মিশিয়ে ঢেকে দিন এবং মাঝারি আঁচে ২০-২৫ মিনিট রেখে দিন যাতে সব উপকরণ সেদ্ধ হয়ে একত্রে মিশে যায়।
# শেষের দিকে গরম মসলা ও ধনে পাতা ছিটিয়ে ৫ মিনিট ঢেকে রেখে নামিয়ে ফেলুন।
== পরিবেশন পরামর্শ ==
এই ঘন্ট গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করলে এর স্বাদ দ্বিগুণ হয়। নিরামিষ দিনে এটি একটি অসাধারণ পদ।
== স্বাস্থ্যগত দিক ==
কাঁঠালের বিচি হজমে সহায়তা করে এবং ফাইবার ও প্রোটিন সমৃদ্ধ হওয়ায় এটি দীর্ঘক্ষণ পেট ভরে রাখে। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতেও এটি উপকারী। যেহেতু এতে মাংসজাত উপাদান নেই, এটি নিরামিষভোজীদের জন্য এক উৎকৃষ্ট বিকল্প। তবে যাদের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা রয়েছে, তারা সীমিত পরিমাণে গ্রহণ করবেন, কারণ বিচির কিছু উপাদান অতিরিক্ত গ্যাস সৃষ্টি করতে পারে।
cxelzq5ftgmko7rkybj6bqx4165l3l7
84441
84440
2025-06-16T23:02:12Z
Mehedi Abedin
7113
84441
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = বিশেষ খাবার
| পরিবেশন = ৫ জন
| তৈরির সময় = ১ ঘণ্টা ১০ মিনিট
| কষ্টসাধ্য = ৪
| খাদ্য শক্তি = উচ্চ
| টীকা = বাঙালির গ্রামীণ ঘরের এক পুরনো স্বাদের খাবার, যা এখন শহুরে রান্নায়ও জনপ্রিয়।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''কাঁঠালের বিচির ঘন্ট'''</big></center>
কাঁঠালের বিচি দিয়ে তৈরি ঘন্ট বাঙালি বাড়িতে বর্ষার শেষে এবং শরৎকালে খুব জনপ্রিয়। কাঁঠালের বিচি তথা 'কাঁঠালের বীজ' পুষ্টিগুণে ভরপুর, এতে আছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার ও প্রোটিন। মসলার সাথে এর বীজের মিলনে তৈরি হয় এক অনন্য স্বাদের নিরামিষ পদ। মাঝে মাঝে এতে সামান্য চিংড়ি বা ছোট মাছও যোগ করা হয়।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! উপাদান !! পরিমাণ
|-
| কাঁঠালের বিচি (সেদ্ধ করে খোসা ছাড়ানো) || ২৫০ গ্রাম
|-
| আলু (চৌকোনা) || ২টি
|-
| পেঁয়াজ কুচি || ১ কাপ
|-
| আদা বাটা || ১ টেবিল চামচ
|-
| রসুন বাটা || ১ চা চামচ
|-
| হলুদ গুঁড়ো || ১/২ চা চামচ
|-
| মরিচ গুঁড়ো || ১ চা চামচ
|-
| জিরা গুঁড়ো || ১/২ চা চামচ
|-
| গরম মসলা গুঁড়ো || ১/২ চা চামচ
|-
| তেজপাতা || ২টি
|-
| লবণ || স্বাদমতো
|-
| সরিষার তেল || ৪ টেবিল চামচ
|-
| ধনে পাতা কুচি || ২ টেবিল চামচ
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# প্রথমে কাঁঠালের বিচিগুলো ভালো করে ধুয়ে সেদ্ধ করে খোসা ছাড়িয়ে রাখুন।
# একটি পাত্রে সরিষার তেল গরম করে তেজপাতা ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে হালকা বাদামি করে ভেজে নিন।
# এরপর আদা, রসুন বাটা, হলুদ, মরিচ ও জিরা গুঁড়ো দিয়ে মসলা ভালোভাবে কষান।
# আলু যোগ করে সামান্য ভেজে নিয়ে কাঁঠালের বিচি দিয়ে ভালো করে নাড়ুন।
# লবণ মিশিয়ে ঢেকে দিন এবং মাঝারি আঁচে ২০-২৫ মিনিট রেখে দিন যাতে সব উপকরণ সেদ্ধ হয়ে একত্রে মিশে যায়।
# শেষের দিকে গরম মসলা ও ধনে পাতা ছিটিয়ে ৫ মিনিট ঢেকে রেখে নামিয়ে ফেলুন।
== পরিবেশন পরামর্শ ==
এই ঘন্ট গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করলে এর স্বাদ দ্বিগুণ হয়। নিরামিষ দিনে এটি একটি অসাধারণ পদ।
== স্বাস্থ্যগত দিক ==
কাঁঠালের বিচি হজমে সহায়তা করে এবং ফাইবার ও প্রোটিন সমৃদ্ধ হওয়ায় এটি দীর্ঘক্ষণ পেট ভরে রাখে। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতেও এটি উপকারী। যেহেতু এতে মাংসজাত উপাদান নেই, এটি নিরামিষভোজীদের জন্য এক উৎকৃষ্ট বিকল্প। তবে যাদের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা রয়েছে, তারা সীমিত পরিমাণে গ্রহণ করবেন, কারণ বিচির কিছু উপাদান অতিরিক্ত গ্যাস সৃষ্টি করতে পারে।
tssv59nvfh8e1noayjzl2g139zl8kxr
84489
84441
2025-06-17T00:28:38Z
Mehedi Abedin
7113
84489
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = বিশেষ খাবার
| পরিবেশন = ৫ জন
| তৈরির সময় = ১ ঘণ্টা ১০ মিনিট
| কষ্টসাধ্য = ৪
| খাদ্য শক্তি = উচ্চ
| টীকা = বাঙালির গ্রামীণ ঘরের এক পুরনো স্বাদের খাবার, যা এখন শহুরে রান্নায়ও জনপ্রিয়।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''কাঁঠালের বিচির ঘন্ট'''</big></center>
কাঁঠালের বিচি দিয়ে তৈরি ঘন্ট বাঙালি বাড়িতে বর্ষার শেষে এবং শরৎকালে খুব জনপ্রিয়। কাঁঠালের বিচি তথা 'কাঁঠালের বীজ' পুষ্টিগুণে ভরপুর, এতে আছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার ও প্রোটিন। মসলার সাথে এর বীজের মিলনে তৈরি হয় এক অনন্য স্বাদের নিরামিষ পদ। মাঝে মাঝে এতে সামান্য চিংড়ি বা ছোট মাছও যোগ করা হয়।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! উপাদান !! পরিমাণ
|-
| কাঁঠালের বিচি (সেদ্ধ করে খোসা ছাড়ানো) || ২৫০ গ্রাম
|-
| আলু (চৌকোনা) || ২টি
|-
| পেঁয়াজ কুচি || ১ কাপ
|-
| আদা বাটা || ১ টেবিল চামচ
|-
| রসুন বাটা || ১ চা চামচ
|-
| হলুদ গুঁড়ো || ১/২ চা চামচ
|-
| মরিচ গুঁড়ো || ১ চা চামচ
|-
| জিরা গুঁড়ো || ১/২ চা চামচ
|-
| গরম মসলা গুঁড়ো || ১/২ চা চামচ
|-
| তেজপাতা || ২টি
|-
| লবণ || স্বাদমতো
|-
| সরিষার তেল || ৪ টেবিল চামচ
|-
| ধনে পাতা কুচি || ২ টেবিল চামচ
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# প্রথমে কাঁঠালের বিচিগুলো ভালো করে ধুয়ে সেদ্ধ করে খোসা ছাড়িয়ে রাখুন।
# একটি পাত্রে সরিষার তেল গরম করে তেজপাতা ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে হালকা বাদামি করে ভেজে নিন।
# এরপর আদা, রসুন বাটা, হলুদ, মরিচ ও জিরা গুঁড়ো দিয়ে মসলা ভালোভাবে কষান।
# আলু যোগ করে সামান্য ভেজে নিয়ে কাঁঠালের বিচি দিয়ে ভালো করে নাড়ুন।
# লবণ মিশিয়ে ঢেকে দিন এবং মাঝারি আঁচে ২০-২৫ মিনিট রেখে দিন যাতে সব উপকরণ সেদ্ধ হয়ে একত্রে মিশে যায়।
# শেষের দিকে গরম মসলা ও ধনে পাতা ছিটিয়ে ৫ মিনিট ঢেকে রেখে নামিয়ে ফেলুন।
== পরিবেশন পরামর্শ ==
এই ঘন্ট গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করলে এর স্বাদ দ্বিগুণ হয়। নিরামিষ দিনে এটি একটি অসাধারণ পদ।
6qczd4pdbesabgzs1dvtzbs5cwt47jq
84490
84489
2025-06-17T00:29:04Z
Mehedi Abedin
7113
84490
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = বিশেষ খাবার
| পরিবেশন = ৫ জন
| তৈরির সময় = ১ ঘণ্টা ১০ মিনিট
| কষ্টসাধ্য = ৪
| খাদ্য শক্তি = উচ্চ
| টীকা = বাঙালির গ্রামীণ ঘরের এক পুরনো স্বাদের খাবার, যা এখন শহুরে রান্নায়ও জনপ্রিয়।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''কাঁঠালের বিচির ঘন্ট'''</big></center>
কাঁঠালের বিচি দিয়ে তৈরি ঘন্ট বাঙালি বাড়িতে বর্ষার শেষে এবং শরৎকালে খুব জনপ্রিয়। কাঁঠালের বিচি তথা 'কাঁঠালের বীজ' পুষ্টিগুণে ভরপুর, এতে আছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার ও প্রোটিন। মসলার সাথে এর বীজের মিলনে তৈরি হয় এক অনন্য স্বাদের নিরামিষ পদ। মাঝে মাঝে এতে সামান্য চিংড়ি বা ছোট মাছও যোগ করা হয়।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! উপাদান !! পরিমাণ
|-
| কাঁঠালের বিচি (সেদ্ধ করে খোসা ছাড়ানো) || ২৫০ গ্রাম
|-
| আলু (চৌকোনা) || ২টি
|-
| পেঁয়াজ কুচি || ১ কাপ
|-
| আদা বাটা || ১ টেবিল চামচ
|-
| রসুন বাটা || ১ চা চামচ
|-
| হলুদ গুঁড়ো || ১/২ চা চামচ
|-
| মরিচ গুঁড়ো || ১ চা চামচ
|-
| জিরা গুঁড়ো || ১/২ চা চামচ
|-
| গরম মসলা গুঁড়ো || ১/২ চা চামচ
|-
| তেজপাতা || ২টি
|-
| লবণ || স্বাদমতো
|-
| সরিষার তেল || ৪ টেবিল চামচ
|-
| ধনে পাতা কুচি || ২ টেবিল চামচ
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# প্রথমে কাঁঠালের বিচিগুলো ভালো করে ধুয়ে সেদ্ধ করে খোসা ছাড়িয়ে রাখুন।
# একটি পাত্রে সরিষার তেল গরম করে তেজপাতা ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে হালকা বাদামি করে ভেজে নিন।
# এরপর আদা, রসুন বাটা, হলুদ, মরিচ ও জিরা গুঁড়ো দিয়ে মসলা ভালোভাবে কষান।
# আলু যোগ করে সামান্য ভেজে নিয়ে কাঁঠালের বিচি দিয়ে ভালো করে নাড়ুন।
# লবণ মিশিয়ে ঢেকে দিন এবং মাঝারি আঁচে ২০-২৫ মিনিট রেখে দিন যাতে সব উপকরণ সেদ্ধ হয়ে একত্রে মিশে যায়।
# শেষের দিকে গরম মসলা ও ধনে পাতা ছিটিয়ে ৫ মিনিট ঢেকে রেখে নামিয়ে ফেলুন।
<span style=color:red;><center>'''গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন।'''</center></span>
0fro2qvy2tf3ys4em9xci690djby8y8
রন্ধনপ্রণালী:ঘিয়ের মোয়া
104
24789
84442
77844
2025-06-16T23:03:43Z
Mehedi Abedin
7113
84442
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = মিষ্টান্ন
| পরিবেশন = ৬ জন
| তৈরির সময় = ১ ঘণ্টা ১৫ মিনিট
| কষ্টসাধ্য = ৪
| খাদ্য শক্তি = উচ্চ
| টীকা = বাঙালির মিষ্টিপ্রিয়তাকে তুলে ধরার এক অতুলনীয় নিদর্শন এই ঘিয়ের মোয়া।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''ঘিয়ের মোয়া'''</big></center>
ঘিয়ের মোয়া একটি প্রাচীন ও জনপ্রিয় বাঙালি মিষ্টান্ন। এটি সাধারণত পূজা-পার্বণ, অতিথি আপ্যায়ন কিংবা বিশেষ উৎসবে পরিবেশিত হয়। পাকা খেজুর গুড়, মুড়ি ও ঘিয়ের মিশ্রণে তৈরি এই মিষ্টান্ন খাবারটি যেমন স্বাদে অতুলনীয়, তেমনি সহজলভ্য উপাদানে তৈরি হয় বলে এটি গ্রামীণ বাংলাদেশে বিশেষভাবে প্রচলিত। এই মোয়ার সুগন্ধ ও কোমলতা মুখে দিলে মিলে যায় এক অনন্য অভিজ্ঞতা।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! উপাদান !! পরিমাণ
|-
| খেজুরের গুড় || ২৫০ গ্রাম
|-
| মুড়ি || ৫ কাপ
|-
| ঘি || ১/২ কাপ
|-
| কাজু ও কিসমিস (ঐচ্ছিক) || পরিমাণমতো
|-
| এলাচ গুঁড়ো || ১/২ চা চামচ
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# প্রথমে একটি পাত্রে খেজুরের গুড় হালকা আঁচে গলিয়ে নিন। গুড় ফুটে উঠলে তাতে ঘি মিশিয়ে দিন।
# এরপর মুড়ি ধীরে ধীরে দিয়ে নাড়তে থাকুন যাতে প্রতিটি দানায় গুড় লেগে যায়।
# এলাচ গুঁড়ো দিয়ে আরও কিছুক্ষণ নাড়ুন এবং চুলা থেকে নামিয়ে ফেলুন।
# ঠান্ডা হতে শুরু করলে হাত দিয়ে ছোট ছোট গোল আকারে মোয়া বানিয়ে ফেলুন।
# চাইলে প্রতিটি মোয়ার মধ্যে একটি করে কিসমিস বা কাজু গেঁথে দিতে পারেন।
== পরিবেশন ==
এই মোয়া সাধারণত পরিবেশিত হয় চায়ের সাথে অথবা বিকেলের নাশতার সময়। তবে উৎসবের দিনে এটি উপহার হিসেবেও অত্যন্ত জনপ্রিয়। ভালোভাবে সংরক্ষণ করলে কয়েকদিন পর্যন্ত খাওয়া যায়।
== স্বাস্থ্যগত দিক ==
খেজুরের গুড়ে প্রাকৃতিক শর্করা ও আয়রন থাকে, যা শরীরে শক্তি যোগায় এবং রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধে সাহায্য করে। মুড়ি হালকা ও সহজপাচ্য হওয়ায় এটি ক্ষুধা মেটাতে সহায়ক। তবে ঘি ও গুড়ের পরিমাণ বেশি হওয়ায় ডায়াবেটিক রোগীরা এটি খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। বাচ্চাদের জন্য এটি একটি শক্তিদায়ক মিষ্টি, তবে পরিমাণে নিয়ন্ত্রিত থাকা উত্তম।
iyglr37hvxnqx87qqne8setwppgy1ze
84443
84442
2025-06-16T23:04:31Z
Mehedi Abedin
7113
84443
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = মিষ্টান্ন
| পরিবেশন = ৬ জন
| তৈরির সময় = ১ ঘণ্টা ১৫ মিনিট
| কষ্টসাধ্য = ৪
| খাদ্য শক্তি = উচ্চ
| টীকা = পাকা খেজুর গুড়, মুড়ি ও ঘিয়ের মিশ্রণে তৈরি মিষ্টান্ন।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''ঘিয়ের মোয়া'''</big></center>
ঘিয়ের মোয়া একটি প্রাচীন ও জনপ্রিয় বাঙালি মিষ্টান্ন। এটি সাধারণত পূজা-পার্বণ, অতিথি আপ্যায়ন কিংবা বিশেষ উৎসবে পরিবেশিত হয়। পাকা খেজুর গুড়, মুড়ি ও ঘিয়ের মিশ্রণে তৈরি এই মিষ্টান্ন খাবারটি যেমন স্বাদে অতুলনীয়, তেমনি সহজলভ্য উপাদানে তৈরি হয় বলে এটি বাংলাদেশে গ্রামীণ অঞ্চলে বিশেষভাবে প্রচলিত।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! উপাদান !! পরিমাণ
|-
| খেজুরের গুড় || ২৫০ গ্রাম
|-
| মুড়ি || ৫ কাপ
|-
| ঘি || ১/২ কাপ
|-
| কাজু ও কিসমিস (ঐচ্ছিক) || পরিমাণমতো
|-
| এলাচ গুঁড়ো || ১/২ চা চামচ
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# প্রথমে একটি পাত্রে খেজুরের গুড় হালকা আঁচে গলিয়ে নিন। গুড় ফুটে উঠলে তাতে ঘি মিশিয়ে দিন।
# এরপর মুড়ি ধীরে ধীরে দিয়ে নাড়তে থাকুন যাতে প্রতিটি দানায় গুড় লেগে যায়।
# এলাচ গুঁড়ো দিয়ে আরও কিছুক্ষণ নাড়ুন এবং চুলা থেকে নামিয়ে ফেলুন।
# ঠান্ডা হতে শুরু করলে হাত দিয়ে ছোট ছোট গোল আকারে মোয়া বানিয়ে ফেলুন।
# চাইলে প্রতিটি মোয়ার মধ্যে একটি করে কিসমিস বা কাজু গেঁথে দিতে পারেন।
== পরিবেশন ==
এই মোয়া সাধারণত পরিবেশিত হয় চায়ের সাথে অথবা বিকেলের নাশতার সময়। তবে উৎসবের দিনে এটি উপহার হিসেবেও অত্যন্ত জনপ্রিয়। ভালোভাবে সংরক্ষণ করলে কয়েকদিন পর্যন্ত খাওয়া যায়।
== স্বাস্থ্যগত দিক ==
খেজুরের গুড়ে প্রাকৃতিক শর্করা ও আয়রন থাকে, যা শরীরে শক্তি যোগায় এবং রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধে সাহায্য করে। মুড়ি হালকা ও সহজপাচ্য হওয়ায় এটি ক্ষুধা মেটাতে সহায়ক। তবে ঘি ও গুড়ের পরিমাণ বেশি হওয়ায় ডায়াবেটিক রোগীরা এটি খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। বাচ্চাদের জন্য এটি একটি শক্তিদায়ক মিষ্টি, তবে পরিমাণে নিয়ন্ত্রিত থাকা উত্তম।
nyk0acseeow15x8z4rgonu8noadutz9
84444
84443
2025-06-16T23:04:56Z
Mehedi Abedin
7113
84444
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = মিষ্টান্ন
| পরিবেশন = ৬ জন
| তৈরির সময় = ১ ঘণ্টা ১৫ মিনিট
| কষ্টসাধ্য = ৪
| খাদ্য শক্তি = উচ্চ
| টীকা = পাকা খেজুর গুড়, মুড়ি ও ঘিয়ের মিশ্রণে তৈরি মিষ্টান্ন।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''ঘিয়ের মোয়া'''</big></center>
ঘিয়ের মোয়া একটি প্রাচীন ও জনপ্রিয় বাঙালি মিষ্টান্ন। এটি সাধারণত পূজা-পার্বণ, অতিথি আপ্যায়ন কিংবা বিশেষ উৎসবে পরিবেশিত হয়। পাকা খেজুর গুড়, মুড়ি ও ঘিয়ের মিশ্রণে তৈরি এই মিষ্টান্ন খাবারটি যেমন স্বাদে অতুলনীয়, তেমনি সহজলভ্য উপাদানে তৈরি হয় বলে এটি বাংলাদেশে গ্রামীণ অঞ্চলে বিশেষভাবে প্রচলিত।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! উপাদান !! পরিমাণ
|-
| খেজুরের গুড় || ২৫০ গ্রাম
|-
| মুড়ি || ৫ কাপ
|-
| ঘি || ১/২ কাপ
|-
| কাজু ও কিশমিআ (ঐচ্ছিক) || পরিমাণমতো
|-
| এলাচ গুঁড়ো || ১/২ চা চামচ
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# প্রথমে একটি পাত্রে খেজুরের গুড় হালকা আঁচে গলিয়ে নিন। গুড় ফুটে উঠলে তাতে ঘি মিশিয়ে দিন।
# এরপর মুড়ি ধীরে ধীরে দিয়ে নাড়তে থাকুন যাতে প্রতিটি দানায় গুড় লেগে যায়।
# এলাচ গুঁড়ো দিয়ে আরও কিছুক্ষণ নাড়ুন এবং চুলা থেকে নামিয়ে ফেলুন।
# ঠান্ডা হতে শুরু করলে হাত দিয়ে ছোট ছোট গোল আকারে মোয়া বানিয়ে ফেলুন।
# চাইলে প্রতিটি মোয়ার মধ্যে একটি করে কিসমিস বা কাজু গেঁথে দিতে পারেন।
== পরিবেশন ==
এই মোয়া সাধারণত পরিবেশিত হয় চায়ের সাথে অথবা বিকেলের নাশতার সময়। তবে উৎসবের দিনে এটি উপহার হিসেবেও অত্যন্ত জনপ্রিয়। ভালোভাবে সংরক্ষণ করলে কয়েকদিন পর্যন্ত খাওয়া যায়।
== স্বাস্থ্যগত দিক ==
খেজুরের গুড়ে প্রাকৃতিক শর্করা ও আয়রন থাকে, যা শরীরে শক্তি যোগায় এবং রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধে সাহায্য করে। মুড়ি হালকা ও সহজপাচ্য হওয়ায় এটি ক্ষুধা মেটাতে সহায়ক। তবে ঘি ও গুড়ের পরিমাণ বেশি হওয়ায় ডায়াবেটিক রোগীরা এটি খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। বাচ্চাদের জন্য এটি একটি শক্তিদায়ক মিষ্টি, তবে পরিমাণে নিয়ন্ত্রিত থাকা উত্তম।
lexm611sw1q9p9q5tsq5l45qvwqb5zv
84445
84444
2025-06-16T23:05:20Z
Mehedi Abedin
7113
84445
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = মিষ্টান্ন
| পরিবেশন = ৬ জন
| তৈরির সময় = ১ ঘণ্টা ১৫ মিনিট
| কষ্টসাধ্য = ৪
| খাদ্য শক্তি = উচ্চ
| টীকা = পাকা খেজুর গুড়, মুড়ি ও ঘিয়ের মিশ্রণে তৈরি মিষ্টান্ন।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''ঘিয়ের মোয়া'''</big></center>
ঘিয়ের মোয়া একটি প্রাচীন ও জনপ্রিয় বাঙালি মিষ্টান্ন। এটি সাধারণত পূজা-পার্বণ, অতিথি আপ্যায়ন কিংবা বিশেষ উৎসবে পরিবেশিত হয়। পাকা খেজুর গুড়, মুড়ি ও ঘিয়ের মিশ্রণে তৈরি এই মিষ্টান্ন খাবারটি যেমন স্বাদে অতুলনীয়, তেমনি সহজলভ্য উপাদানে তৈরি হয় বলে এটি বাংলাদেশে গ্রামীণ অঞ্চলে বিশেষভাবে প্রচলিত।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! উপাদান !! পরিমাণ
|-
| খেজুরের গুড় || ২৫০ গ্রাম
|-
| মুড়ি || ৫ কাপ
|-
| ঘি || ১/২ কাপ
|-
| কাজু ও কিশমিআ (ঐচ্ছিক) || পরিমাণমতো
|-
| এলাচ গুঁড়ো || ১/২ চা চামচ
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# প্রথমে একটি পাত্রে খেজুরের গুড় হালকা আঁচে গলিয়ে নিন। গুড় ফুটে উঠলে তাতে ঘি মিশিয়ে দিন।
# এরপর মুড়ি ধীরে ধীরে দিয়ে নাড়তে থাকুন যাতে প্রতিটি দানায় গুড় লেগে যায়।
# এলাচ গুঁড়ো দিয়ে আরও কিছুক্ষণ নাড়ুন এবং চুলা থেকে নামিয়ে ফেলুন।
# ঠাণ্ডা হতে শুরু করলে হাত দিয়ে ছোট ছোট গোল আকারে মোয়া বানিয়ে ফেলুন।
# চাইলে প্রতিটি মোয়ার মধ্যে একটি করে কিসমিস বা কাজু গেঁথে দিতে পারেন।
== পরিবেশন ==
এই মোয়া সাধারণত পরিবেশিত হয় চায়ের সাথে অথবা বিকেলের নাশতার সময়। তবে উৎসবের দিনে এটি উপহার হিসেবেও অত্যন্ত জনপ্রিয়। ভালোভাবে সংরক্ষণ করলে কয়েকদিন পর্যন্ত খাওয়া যায়।
== স্বাস্থ্যগত দিক ==
খেজুরের গুড়ে প্রাকৃতিক শর্করা ও আয়রন থাকে, যা শরীরে শক্তি যোগায় এবং রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধে সাহায্য করে। মুড়ি হালকা ও সহজপাচ্য হওয়ায় এটি ক্ষুধা মেটাতে সহায়ক। তবে ঘি ও গুড়ের পরিমাণ বেশি হওয়ায় ডায়াবেটিক রোগীরা এটি খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। বাচ্চাদের জন্য এটি একটি শক্তিদায়ক মিষ্টি, তবে পরিমাণে নিয়ন্ত্রিত থাকা উত্তম।
t9v4s0a5uj8jirieepkrtn5rfpjggv6
84487
84445
2025-06-17T00:26:51Z
Mehedi Abedin
7113
84487
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = মিষ্টান্ন
| পরিবেশন = ৬ জন
| তৈরির সময় = ১ ঘণ্টা ১৫ মিনিট
| কষ্টসাধ্য = ৪
| খাদ্য শক্তি = উচ্চ
| টীকা = পাকা খেজুর গুড়, মুড়ি ও ঘিয়ের মিশ্রণে তৈরি মিষ্টান্ন।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''ঘিয়ের মোয়া'''</big></center>
ঘিয়ের মোয়া একটি প্রাচীন ও জনপ্রিয় বাঙালি মিষ্টান্ন। এটি সাধারণত পূজা-পার্বণ, অতিথি আপ্যায়ন কিংবা বিশেষ উৎসবে পরিবেশিত হয়। পাকা খেজুর গুড়, মুড়ি ও ঘিয়ের মিশ্রণে তৈরি এই মিষ্টান্ন খাবারটি যেমন স্বাদে অতুলনীয়, তেমনি সহজলভ্য উপাদানে তৈরি হয় বলে এটি বাংলাদেশে গ্রামীণ অঞ্চলে বিশেষভাবে প্রচলিত।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! উপাদান !! পরিমাণ
|-
| খেজুরের গুড় || ২৫০ গ্রাম
|-
| মুড়ি || ৫ কাপ
|-
| ঘি || ১/২ কাপ
|-
| কাজু ও কিশমিআ (ঐচ্ছিক) || পরিমাণমতো
|-
| এলাচ গুঁড়ো || ১/২ চা চামচ
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# প্রথমে একটি পাত্রে খেজুরের গুড় হালকা আঁচে গলিয়ে নিন। গুড় ফুটে উঠলে তাতে ঘি মিশিয়ে দিন।
# এরপর মুড়ি ধীরে ধীরে দিয়ে নাড়তে থাকুন যাতে প্রতিটি দানায় গুড় লেগে যায়।
# এলাচ গুঁড়ো দিয়ে আরও কিছুক্ষণ নাড়ুন এবং চুলা থেকে নামিয়ে ফেলুন।
# ঠাণ্ডা হতে শুরু করলে হাত দিয়ে ছোট ছোট গোল আকারে মোয়া বানিয়ে ফেলুন।
# চাইলে প্রতিটি মোয়ার মধ্যে একটি করে কিসমিস বা কাজু গেঁথে দিতে পারেন।
== পরিবেশন ==
এই মোয়া সাধারণত পরিবেশিত হয় চায়ের সাথে অথবা বিকেলের নাশতার সময়। তবে উৎসবের দিনে এটি উপহার হিসেবেও অত্যন্ত জনপ্রিয়। ভালোভাবে সংরক্ষণ করলে কয়েকদিন পর্যন্ত খাওয়া যায়।
eimwrii68gg5xpr3bd3mugvrpb01ujs
84488
84487
2025-06-17T00:27:28Z
Mehedi Abedin
7113
84488
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = মিষ্টান্ন
| পরিবেশন = ৬ জন
| তৈরির সময় = ১ ঘণ্টা ১৫ মিনিট
| কষ্টসাধ্য = ৪
| খাদ্য শক্তি = উচ্চ
| টীকা = পাকা খেজুর গুড়, মুড়ি ও ঘিয়ের মিশ্রণে তৈরি মিষ্টান্ন।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''ঘিয়ের মোয়া'''</big></center>
ঘিয়ের মোয়া একটি প্রাচীন ও জনপ্রিয় বাঙালি মিষ্টান্ন। এটি সাধারণত পূজা-পার্বণ, অতিথি আপ্যায়ন কিংবা বিশেষ উৎসবে পরিবেশিত হয়। পাকা খেজুর গুড়, মুড়ি ও ঘিয়ের মিশ্রণে তৈরি এই মিষ্টান্ন খাবারটি যেমন স্বাদে অতুলনীয়, তেমনি সহজলভ্য উপাদানে তৈরি হয় বলে এটি বাংলাদেশে গ্রামীণ অঞ্চলে বিশেষভাবে প্রচলিত।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! উপাদান !! পরিমাণ
|-
| খেজুরের গুড় || ২৫০ গ্রাম
|-
| মুড়ি || ৫ কাপ
|-
| ঘি || ১/২ কাপ
|-
| কাজু ও কিশমিআ (ঐচ্ছিক) || পরিমাণমতো
|-
| এলাচ গুঁড়ো || ১/২ চা চামচ
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# প্রথমে একটি পাত্রে খেজুরের গুড় হালকা আঁচে গলিয়ে নিন। গুড় ফুটে উঠলে তাতে ঘি মিশিয়ে দিন।
# এরপর মুড়ি ধীরে ধীরে দিয়ে নাড়তে থাকুন যাতে প্রতিটি দানায় গুড় লেগে যায়।
# এলাচ গুঁড়ো দিয়ে আরও কিছুক্ষণ নাড়ুন এবং চুলা থেকে নামিয়ে ফেলুন।
# ঠাণ্ডা হতে শুরু করলে হাত দিয়ে ছোট ছোট গোল আকারে মোয়া বানিয়ে ফেলুন।
# চাইলে প্রতিটি মোয়ার মধ্যে একটি করে কিসমিস বা কাজু গেঁথে দিতে পারেন।
<span style=color:red;><center>'''চায়ের সাথে পরিবেশন করুন।'''</center></span>
2vcbzt09g5kbhvy7v4utl5ylbhd0jen
রন্ধনপ্রণালী:মোচার ঘন্ট
104
24815
84446
77883
2025-06-16T23:06:44Z
Mehedi Abedin
7113
84446
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = প্রধান তরকারি
| পরিবেশন = ৪–৫ জন
| তৈরির সময় = ১ ঘণ্টা
| কষ্টসাধ্য = 3
| খাদ্য শক্তি = উচ্চ
| টীকা = কলার মোচা দিয়ে তৈরি এই পদটি স্বাদে বৈচিত্র্যময় এবং শরীরের জন্য উপকারী। এটি নিরামিষ আহারে বিশেষভাবে জনপ্রিয়।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''মোচার ঘন্ট'''</big></center>
মোচার ঘন্ট বাঙালির ঐতিহ্যবাহী রান্নার একটি অত্যন্ত প্রিয় নিরামিষ পদ। এটি কলাগাছের ফুল বা মোচা ব্যবহার করে তৈরি হয় এবং বিশেষ করে বৈশাখী বা উপবাসের দিনে পরিবেশনের জন্য উপযুক্ত। মোচা রান্না করতে কিছুটা সময়সাপেক্ষ হলেও সঠিকভাবে প্রস্তুত করলে এর স্বাদ অতুলনীয় হয়। এতে মশলার পরিমাণ ভারসাম্য রেখে রান্না করলে এতে মনোমুগ্ধকর সুগন্ধ ও স্বাদ সৃষ্টি হয়।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! নাম !! পরিমাণ
|-
| কলার মোচা || ১টি (মাঝারি আকারের)
|-
| আলু || ২টি (কাটা)
|-
| নারকেল কোরানো || ১/২ কাপ
|-
| আদা বাটা || ১ টেবিল চামচ
|-
| পাঁপর কুচি (ঐচ্ছিক) || ১/২ কাপ
|-
| তেজপাতা || ২টি
|-
| শুকনো লঙ্কা || ২টি
|-
| পঞ্চফোড়ন || ১/২ চা চামচ
|-
| হলুদ গুঁড়ো || ১/২ চা চামচ
|-
| জিরা গুঁড়ো || ১ চা চামচ
|-
| ধনে গুঁড়ো || ১ চা চামচ
|-
| লবণ || স্বাদমতো
|-
| সরিষার তেল || ৩ টেবিল চামচ
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# মোচা পরিষ্কার করে ছোট ছোট করে কেটে নিন এবং হালকা হলুদ ও নুন জলে সেদ্ধ করে নিন। এরপর পানি ঝরিয়ে হাত দিয়ে ভালোভাবে মেখে রাখুন।
# কড়াইয়ে সরিষার তেল গরম করে তেজপাতা, শুকনো লঙ্কা ও পঞ্চফোড়ন ফোড়ন দিন।
# এতে আদা বাটা, জিরা ও ধনে গুঁড়ো দিয়ে কয়েক মিনিট ভাজুন।
# এবার সেদ্ধ মোচা, আলু ও নারকেল কোরানো দিয়ে দিন। সঙ্গে দিন স্বাদ অনুযায়ী লবণ ও সামান্য জল।
# মাঝারি আঁচে ঢেকে রান্না করুন যতক্ষণ না আলু নরম হয় এবং মোচা মশলার সঙ্গে ভালোভাবে মিশে যায়।
# শেষে একটুখানি সরিষার তেল ছড়িয়ে দিয়ে পরিবেশন করুন।
== পরিবেশন ==
মোচার ঘন্ট গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন। এটি নিরামিষ দিনে বিশেষত জনপ্রিয় এবং রুচিকর একটি উপাদেয় খাবার হিসেবে গৃহস্থালিতে বহুদিন ধরেই প্রচলিত।
== পরামর্শ ==
* মোচা পরিষ্কার করতে সময় লাগলেও এটি ঠিকভাবে পরিষ্কার করলে স্বাদ ভালো হয়।
* নারকেল ও মশলার সংমিশ্রণ মোচার ঘন্টে একটি মিষ্টি-মসলাদার স্বাদ আনে।
* পাঁপর কুচি ব্যবহার করলে একটি অতিরিক্ত বৈচিত্র্যপূর্ণ টেক্সচার পাওয়া যায়।
== স্বাস্থ্য পরামর্শ ==
মোচা আঁশযুক্ত হওয়ায় এটি হজমে সহায়ক। এটি পেট পরিষ্কার রাখে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে। এছাড়া, নারকেল ও আলুর সঙ্গে এটি একটি পুষ্টিকর নিরামিষ বিকল্প। তবে যাদের গ্যাস্ট্রিক বা অতিরিক্ত গ্যাসের সমস্যা রয়েছে, তাদের এই খাবারটি পরিমাণমতো খাওয়া উত্তম।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:নিরামিষ পদ]]
[[Category:বাংলাদেশি খাবার]]
[[Category:ঐতিহ্যবাহী রান্না]]
19qxja1p2jo67i1fvdgnb64l0q0a48g
84447
84446
2025-06-16T23:07:34Z
Mehedi Abedin
7113
84447
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = প্রধান তরকারি
| পরিবেশন = ৪–৫ জন
| তৈরির সময় = ১ ঘণ্টা
| কষ্টসাধ্য = 3
| খাদ্য শক্তি = উচ্চ
| টীকা = কলার মোচা দিয়ে তৈরি এই পদটি স্বাদে বৈচিত্র্যময় এবং শরীরের জন্য উপকারী। এটি নিরামিষ আহারে বিশেষভাবে জনপ্রিয়।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''মোচার ঘন্ট'''</big></center>
মোচার ঘন্ট বাঙালির ঐতিহ্যবাহী রান্নার একটি অত্যন্ত প্রিয় নিরামিষ পদ। এটি কলাগাছের ফুল বা মোচা ব্যবহার করে তৈরি হয় এবং বিশেষ করে বৈশাখী বা উপবাসের দিনে পরিবেশনের জন্য উপযুক্ত। মোচা রান্না করতে কিছুটা সময়সাপেক্ষ হলেও সঠিকভাবে প্রস্তুত করলে এর স্বাদ অতুলনীয় হয়। এতে মশলার পরিমাণ ভারসাম্য রেখে রান্না করলে এতে মনোমুগ্ধকর সুগন্ধ ও স্বাদ সৃষ্টি হয়।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! নাম !! পরিমাণ
|-
| কলার মোচা || ১টি (মাঝারি আকারের)
|-
| আলু || ২টি (কাটা)
|-
| নারকেল কোরানো || ১/২ কাপ
|-
| আদা বাটা || ১ টেবিল চামচ
|-
| পাঁপর কুচি (ঐচ্ছিক) || ১/২ কাপ
|-
| তেজপাতা || ২টি
|-
| শুকনো লঙ্কা || ২টি
|-
| পাঁচফোড়ন || ১/২ চা চামচ
|-
| হলুদ গুঁড়ো || ১/২ চা চামচ
|-
| জিরা গুঁড়ো || ১ চা চামচ
|-
| ধনে গুঁড়ো || ১ চা চামচ
|-
| লবণ || স্বাদমতো
|-
| সরিষার তেল || ৩ টেবিল চামচ
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# মোচা পরিষ্কার করে ছোট ছোট করে কেটে নিন এবং হালকা হলুদ ও নুন জলে সেদ্ধ করে নিন। এরপর পানি ঝরিয়ে হাত দিয়ে ভালোভাবে মেখে রাখুন।
# কড়াইয়ে সরিষার তেল গরম করে তেজপাতা, শুকনো লঙ্কা ও পঞ্চফোড়ন ফোড়ন দিন।
# এতে আদা বাটা, জিরা ও ধনে গুঁড়ো দিয়ে কয়েক মিনিট ভাজুন।
# এবার সেদ্ধ মোচা, আলু ও নারকেল কোরানো দিয়ে দিন। সঙ্গে দিন স্বাদ অনুযায়ী লবণ ও সামান্য জল।
# মাঝারি আঁচে ঢেকে রান্না করুন যতক্ষণ না আলু নরম হয় এবং মোচা মশলার সঙ্গে ভালোভাবে মিশে যায়।
# শেষে একটুখানি সরিষার তেল ছড়িয়ে দিয়ে পরিবেশন করুন।
== পরিবেশন ==
মোচার ঘন্ট গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন। এটি নিরামিষ দিনে বিশেষত জনপ্রিয় এবং রুচিকর একটি উপাদেয় খাবার হিসেবে গৃহস্থালিতে বহুদিন ধরেই প্রচলিত।
== পরামর্শ ==
* মোচা পরিষ্কার করতে সময় লাগলেও এটি ঠিকভাবে পরিষ্কার করলে স্বাদ ভালো হয়।
* নারকেল ও মশলার সংমিশ্রণ মোচার ঘন্টে একটি মিষ্টি-মসলাদার স্বাদ আনে।
* পাঁপর কুচি ব্যবহার করলে একটি অতিরিক্ত বৈচিত্র্যপূর্ণ টেক্সচার পাওয়া যায়।
== স্বাস্থ্য পরামর্শ ==
মোচা আঁশযুক্ত হওয়ায় এটি হজমে সহায়ক। এটি পেট পরিষ্কার রাখে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে। এছাড়া, নারকেল ও আলুর সঙ্গে এটি একটি পুষ্টিকর নিরামিষ বিকল্প। তবে যাদের গ্যাস্ট্রিক বা অতিরিক্ত গ্যাসের সমস্যা রয়েছে, তাদের এই খাবারটি পরিমাণমতো খাওয়া উত্তম।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:নিরামিষ পদ]]
[[Category:বাংলাদেশি খাবার]]
[[Category:ঐতিহ্যবাহী রান্না]]
gx1rwy5stp1e34ruqfb1xya07basrpz
84448
84447
2025-06-16T23:09:06Z
Mehedi Abedin
7113
84448
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = প্রধান তরকারি
| পরিবেশন = ৪–৫ জন
| তৈরির সময় = ১ ঘণ্টা
| কষ্টসাধ্য = 3
| খাদ্য শক্তি = উচ্চ
| টীকা = কলার মোচা দিয়ে তৈরি এই পদটি স্বাদে বৈচিত্র্যময় এবং শরীরের জন্য উপকারী। এটি নিরামিষ আহারে বিশেষভাবে জনপ্রিয়।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''মোচার ঘন্ট'''</big></center>
মোচার ঘন্ট বাঙালির ঐতিহ্যবাহী রান্নার একটি অত্যন্ত প্রিয় নিরামিষ পদ। এটি কলাগাছের ফুল বা মোচা ব্যবহার করে তৈরি হয় এবং বিশেষ করে বৈশাখী বা উপবাসের দিনে পরিবেশনের জন্য উপযুক্ত। মোচা রান্না করতে কিছুটা সময়সাপেক্ষ হলেও সঠিকভাবে প্রস্তুত করলে এর স্বাদ অতুলনীয় হয়। এতে মশলার পরিমাণ ভারসাম্য রেখে রান্না করলে এতে মনোমুগ্ধকর সুগন্ধ ও স্বাদ সৃষ্টি হয়।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! নাম !! পরিমাণ
|-
| কলার মোচা || ১টি (মাঝারি আকারের)
|-
| আলু || ২টি (কাটা)
|-
| নারকেল কোরানো || ১/২ কাপ
|-
| আদা বাটা || ১ টেবিল চামচ
|-
| পাঁপর কুচি (ঐচ্ছিক) || ১/২ কাপ
|-
| তেজপাতা || ২টি
|-
| শুকনো লঙ্কা || ২টি
|-
| পাঁচফোড়ন || ১/২ চা চামচ
|-
| হলুদ গুঁড়ো || ১/২ চা চামচ
|-
| জিরা গুঁড়ো || ১ চা চামচ
|-
| ধনে গুঁড়ো || ১ চা চামচ
|-
| লবণ || স্বাদমতো
|-
| সরিষার তেল || ৩ টেবিল চামচ
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# মোচা পরিষ্কার করে ছোট ছোট করে কেটে নিন এবং হালকা হলুদ ও নুন জলে মিশিয়ে সেদ্ধ করে নিন। এরপর পানি ঝরিয়ে হাত দিয়ে ভালোভাবে মেখে রাখুন।
# কড়াইয়ে সরিষার তেল গরম করে তেজপাতা, শুকনো লঙ্কা ও পাঁচফোড়ন ফোড়ন দিন।
# এতে আদা বাটা, জিরা ও ধনে গুঁড়ো দিয়ে কয়েক মিনিট ভাজুন।
# এবার সেদ্ধ মোচা, আলু ও নারকেল কোরানো দিয়ে দিন। সঙ্গে দিন স্বাদ অনুযায়ী লবণ ও সামান্য জল।
# মাঝারি আঁচে ঢেকে রান্না করুন যতক্ষণ না আলু নরম হয় এবং মোচা মশলার সঙ্গে ভালোভাবে মিশে যায়।
# শেষে একটুখানি সরিষার তেল ছড়িয়ে দিয়ে পরিবেশন করুন।
== পরিবেশন ==
মোচার ঘন্ট গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন। এটি নিরামিষ দিনে বিশেষত জনপ্রিয় এবং রুচিকর একটি উপাদেয় খাবার হিসেবে গৃহস্থালিতে বহুদিন ধরেই প্রচলিত।
== পরামর্শ ==
* মোচা পরিষ্কার করতে সময় লাগলেও এটি ঠিকভাবে পরিষ্কার করলে স্বাদ ভালো হয়।
* নারকেল ও মশলার সংমিশ্রণ মোচার ঘন্টে একটি মিষ্টি-মসলাদার স্বাদ আনে।
* পাঁপর কুচি ব্যবহার করলে একটি অতিরিক্ত বৈচিত্র্যপূর্ণ টেক্সচার পাওয়া যায়।
== স্বাস্থ্য পরামর্শ ==
মোচা আঁশযুক্ত হওয়ায় এটি হজমে সহায়ক। এটি পেট পরিষ্কার রাখে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে। এছাড়া, নারকেল ও আলুর সঙ্গে এটি একটি পুষ্টিকর নিরামিষ বিকল্প। তবে যাদের গ্যাস্ট্রিক বা অতিরিক্ত গ্যাসের সমস্যা রয়েছে, তাদের এই খাবারটি পরিমাণমতো খাওয়া উত্তম।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:নিরামিষ পদ]]
[[Category:বাংলাদেশি খাবার]]
[[Category:ঐতিহ্যবাহী রান্না]]
m6fg3y2wwntri0ctvdfsv1vytqy7caa
84449
84448
2025-06-16T23:09:58Z
Mehedi Abedin
7113
84449
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = প্রধান তরকারি
| পরিবেশন = ৪–৫ জন
| তৈরির সময় = ১ ঘণ্টা
| কষ্টসাধ্য = 3
| খাদ্য শক্তি = উচ্চ
| টীকা = কলার মোচা দিয়ে তৈরি এই পদটি স্বাদে বৈচিত্র্যময় এবং শরীরের জন্য উপকারী। এটি নিরামিষ আহারে বিশেষভাবে জনপ্রিয়।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''মোচার ঘন্ট'''</big></center>
মোচার ঘন্ট বাঙালির ঐতিহ্যবাহী রান্নার একটি অত্যন্ত প্রিয় নিরামিষ পদ। এটি কলাগাছের ফুল বা মোচা ব্যবহার করে তৈরি হয় এবং বিশেষ করে বৈশাখী বা উপবাসের দিনে পরিবেশনের জন্য উপযুক্ত। মোচা রান্না করতে কিছুটা সময়সাপেক্ষ হলেও সঠিকভাবে প্রস্তুত করলে এর স্বাদ অতুলনীয় হয়। এতে মশলার পরিমাণ ভারসাম্য রেখে রান্না করলে এতে মনোমুগ্ধকর সুগন্ধ ও স্বাদ সৃষ্টি হয়।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! নাম !! পরিমাণ
|-
| কলার মোচা || ১টি (মাঝারি আকারের)
|-
| আলু || ২টি (কাটা)
|-
| নারকেল কোরানো || ১/২ কাপ
|-
| আদা বাটা || ১ টেবিল চামচ
|-
| পাঁপর কুচি (ঐচ্ছিক) || ১/২ কাপ
|-
| তেজপাতা || ২টি
|-
| শুকনো লঙ্কা || ২টি
|-
| পাঁচফোড়ন || ১/২ চা চামচ
|-
| হলুদ গুঁড়ো || ১/২ চা চামচ
|-
| জিরা গুঁড়ো || ১ চা চামচ
|-
| ধনে গুঁড়ো || ১ চা চামচ
|-
| লবণ || স্বাদমতো
|-
| সরিষার তেল || ৩ টেবিল চামচ
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# মোচা পরিষ্কার করে ছোট ছোট করে কেটে নিন এবং হালকা হলুদ ও নুন জলে মিশিয়ে সেদ্ধ করে নিন। এরপর পানি ঝরিয়ে হাত দিয়ে ভালোভাবে মেখে রাখুন।
# কড়াইয়ে সরিষার তেল গরম করে তেজপাতা, শুকনো লঙ্কা ও পাঁচফোড়ন ফোড়ন দিন।
# এতে আদা বাটা, জিরা ও ধনে গুঁড়ো দিয়ে কয়েক মিনিট ভাজুন।
# এবার সেদ্ধ মোচা, আলু ও নারকেল কোরানো দিয়ে দিন। সঙ্গে দিন স্বাদ অনুযায়ী লবণ ও সামান্য জল।
# মাঝারি আঁচে ঢেকে রান্না করুন যতক্ষণ না আলু নরম হয় এবং মোচা মশলার সঙ্গে ভালোভাবে মিশে যায়।
# শেষে একটুখানি সরিষার তেল ছড়িয়ে দিয়ে পরিবেশন করুন।
== পরিবেশন ==
মোচার ঘন্ট গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন। এটি নিরামিষ দিনে বিশেষত জনপ্রিয় এবং রুচিকর একটি উপাদেয় খাবার হিসেবে গৃহস্থালিতে বহুদিন ধরেই প্রচলিত।
== পরামর্শ ==
* মোচা পরিষ্কার করতে সময় লাগলেও এটি ঠিকভাবে পরিষ্কার করলে স্বাদ ভালো হয়।
* নারকেল ও মশলার সংমিশ্রণে মোচার ঘন্ট মিষ্টি ও মসলাদার স্বাদ পায়।
* পাঁপর কুচি ব্যবহার করলে একটি অতিরিক্ত বৈচিত্র্যপূর্ণ স্বাদ পাওয়া যায়।
== স্বাস্থ্য পরামর্শ ==
মোচা আঁশযুক্ত হওয়ায় এটি হজমে সহায়ক। এটি পেট পরিষ্কার রাখে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে। এছাড়া, নারকেল ও আলুর সঙ্গে এটি একটি পুষ্টিকর নিরামিষ বিকল্প। তবে যাদের গ্যাস্ট্রিক বা অতিরিক্ত গ্যাসের সমস্যা রয়েছে, তাদের এই খাবারটি পরিমাণমতো খাওয়া উত্তম।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:নিরামিষ পদ]]
[[Category:বাংলাদেশি খাবার]]
[[Category:ঐতিহ্যবাহী রান্না]]
2bipoloqeb7hvg40c2v5whekr8fkwc6
84450
84449
2025-06-16T23:10:20Z
Mehedi Abedin
7113
84450
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = প্রধান তরকারি
| পরিবেশন = ৪–৫ জন
| তৈরির সময় = ১ ঘণ্টা
| কষ্টসাধ্য = 3
| খাদ্য শক্তি = উচ্চ
| টীকা = কলার মোচা দিয়ে তৈরি এই পদটি স্বাদে বৈচিত্র্যময় এবং শরীরের জন্য উপকারী। এটি নিরামিষ আহারে বিশেষভাবে জনপ্রিয়।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''মোচার ঘন্ট'''</big></center>
মোচার ঘন্ট বাঙালির ঐতিহ্যবাহী রান্নার একটি অত্যন্ত প্রিয় নিরামিষ পদ। এটি কলাগাছের ফুল বা মোচা ব্যবহার করে তৈরি হয় এবং বিশেষ করে বৈশাখী বা উপবাসের দিনে পরিবেশনের জন্য উপযুক্ত। মোচা রান্না করতে কিছুটা সময়সাপেক্ষ হলেও সঠিকভাবে প্রস্তুত করলে এর স্বাদ অতুলনীয় হয়। এতে মশলার পরিমাণ ভারসাম্য রেখে রান্না করলে এতে মনোমুগ্ধকর সুগন্ধ ও স্বাদ সৃষ্টি হয়।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! নাম !! পরিমাণ
|-
| কলার মোচা || ১টি (মাঝারি আকারের)
|-
| আলু || ২টি (কাটা)
|-
| নারকেল কোরানো || ১/২ কাপ
|-
| আদা বাটা || ১ টেবিল চামচ
|-
| পাঁপর কুচি (ঐচ্ছিক) || ১/২ কাপ
|-
| তেজপাতা || ২টি
|-
| শুকনো লঙ্কা || ২টি
|-
| পাঁচফোড়ন || ১/২ চা চামচ
|-
| হলুদ গুঁড়ো || ১/২ চা চামচ
|-
| জিরা গুঁড়ো || ১ চা চামচ
|-
| ধনে গুঁড়ো || ১ চা চামচ
|-
| লবণ || স্বাদমতো
|-
| সরিষার তেল || ৩ টেবিল চামচ
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# মোচা পরিষ্কার করে ছোট ছোট করে কেটে নিন এবং হালকা হলুদ ও নুন জলে মিশিয়ে সেদ্ধ করে নিন। এরপর পানি ঝরিয়ে হাত দিয়ে ভালোভাবে মেখে রাখুন।
# কড়াইয়ে সরিষার তেল গরম করে তেজপাতা, শুকনো লঙ্কা ও পাঁচফোড়ন ফোড়ন দিন।
# এতে আদা বাটা, জিরা ও ধনে গুঁড়ো দিয়ে কয়েক মিনিট ভাজুন।
# এবার সেদ্ধ মোচা, আলু ও নারকেল কোরানো দিয়ে দিন। সঙ্গে দিন স্বাদ অনুযায়ী লবণ ও সামান্য জল।
# মাঝারি আঁচে ঢেকে রান্না করুন যতক্ষণ না আলু নরম হয় এবং মোচা মশলার সঙ্গে ভালোভাবে মিশে যায়।
# শেষে একটুখানি সরিষার তেল ছড়িয়ে দিয়ে পরিবেশন করুন।
== পরিবেশন ==
মোচার ঘন্ট গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন। এটি নিরামিষ দিনে বিশেষত জনপ্রিয় এবং রুচিকর একটি উপাদেয় খাবার হিসেবে গৃহস্থালিতে বহুদিন ধরেই প্রচলিত।
== পরামর্শ ==
* মোচা পরিষ্কার করতে সময় লাগলেও এটি ঠিকভাবে পরিষ্কার করলে স্বাদ ভালো হয়।
* নারকেল ও মশলার সংমিশ্রণে মোচার ঘন্ট মিষ্টি ও মসলাদার স্বাদ পায়।
* পাঁপর কুচি ব্যবহার করলে একটি অতিরিক্ত বৈচিত্র্যপূর্ণ স্বাদ পাওয়া যায়।
== স্বাস্থ্য পরামর্শ ==
মোচা আঁশযুক্ত হওয়ায় এটি হজমে সহায়ক। এটি পেট পরিষ্কার রাখে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে। এছাড়া, নারকেল ও আলুর সঙ্গে এটি একটি পুষ্টিকর নিরামিষ বিকল্প। তবে যাদের গ্যাস্ট্রিক বা অতিরিক্ত গ্যাসের সমস্যা রয়েছে, তাদের এই খাবারটি পরিমাণমতো খাওয়া উত্তম।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:নিরামিষ পদ]]
[[Category:বাংলাদেশী খাবার]]
[[Category:ঐতিহ্যবাহী রান্না]]
r8mpqzspw432fbxslgpb5gertj1lpnh
84485
84450
2025-06-17T00:25:49Z
Mehedi Abedin
7113
84485
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = প্রধান তরকারি
| পরিবেশন = ৪–৫ জন
| তৈরির সময় = ১ ঘণ্টা
| কষ্টসাধ্য = 3
| খাদ্য শক্তি = উচ্চ
| টীকা = কলার মোচা দিয়ে তৈরি এই পদটি স্বাদে বৈচিত্র্যময় এবং শরীরের জন্য উপকারী। এটি নিরামিষ আহারে বিশেষভাবে জনপ্রিয়।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''মোচার ঘন্ট'''</big></center>
মোচার ঘন্ট বাঙালির ঐতিহ্যবাহী রান্নার একটি অত্যন্ত প্রিয় নিরামিষ পদ। এটি কলাগাছের ফুল বা মোচা ব্যবহার করে তৈরি হয় এবং বিশেষ করে বৈশাখী বা উপবাসের দিনে পরিবেশনের জন্য উপযুক্ত। মোচা রান্না করতে কিছুটা সময়সাপেক্ষ হলেও সঠিকভাবে প্রস্তুত করলে এর স্বাদ অতুলনীয় হয়। এতে মশলার পরিমাণ ভারসাম্য রেখে রান্না করলে এতে মনোমুগ্ধকর সুগন্ধ ও স্বাদ সৃষ্টি হয়।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! নাম !! পরিমাণ
|-
| কলার মোচা || ১টি (মাঝারি আকারের)
|-
| আলু || ২টি (কাটা)
|-
| নারকেল কোরানো || ১/২ কাপ
|-
| আদা বাটা || ১ টেবিল চামচ
|-
| পাঁপর কুচি (ঐচ্ছিক) || ১/২ কাপ
|-
| তেজপাতা || ২টি
|-
| শুকনো লঙ্কা || ২টি
|-
| পাঁচফোড়ন || ১/২ চা চামচ
|-
| হলুদ গুঁড়ো || ১/২ চা চামচ
|-
| জিরা গুঁড়ো || ১ চা চামচ
|-
| ধনে গুঁড়ো || ১ চা চামচ
|-
| লবণ || স্বাদমতো
|-
| সরিষার তেল || ৩ টেবিল চামচ
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# মোচা পরিষ্কার করে ছোট ছোট করে কেটে নিন এবং হালকা হলুদ ও নুন জলে মিশিয়ে সেদ্ধ করে নিন। এরপর পানি ঝরিয়ে হাত দিয়ে ভালোভাবে মেখে রাখুন।
# কড়াইয়ে সরিষার তেল গরম করে তেজপাতা, শুকনো লঙ্কা ও পাঁচফোড়ন ফোড়ন দিন।
# এতে আদা বাটা, জিরা ও ধনে গুঁড়ো দিয়ে কয়েক মিনিট ভাজুন।
# এবার সেদ্ধ মোচা, আলু ও নারকেল কোরানো দিয়ে দিন। সঙ্গে দিন স্বাদ অনুযায়ী লবণ ও সামান্য জল।
# মাঝারি আঁচে ঢেকে রান্না করুন যতক্ষণ না আলু নরম হয় এবং মোচা মশলার সঙ্গে ভালোভাবে মিশে যায়।
# শেষে একটুখানি সরিষার তেল ছড়িয়ে দিয়ে পরিবেশন করুন।
== পরিবেশন ==
মোচার ঘন্ট গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন। এটি নিরামিষ দিনে বিশেষত জনপ্রিয় এবং রুচিকর একটি উপাদেয় খাবার হিসেবে গৃহস্থালিতে বহুদিন ধরেই প্রচলিত।
== পরামর্শ ==
* মোচা পরিষ্কার করতে সময় লাগলেও এটি ঠিকভাবে পরিষ্কার করলে স্বাদ ভালো হয়।
* নারকেল ও মশলার সংমিশ্রণে মোচার ঘন্ট মিষ্টি ও মসলাদার স্বাদ পায়।
* পাঁপর কুচি ব্যবহার করলে একটি অতিরিক্ত বৈচিত্র্যপূর্ণ স্বাদ পাওয়া যায়।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:নিরামিষ পদ]]
[[Category:বাংলাদেশী খাবার]]
[[Category:ঐতিহ্যবাহী রান্না]]
rcdifd6vn0kp9asbno7q0unhkbfer8i
84486
84485
2025-06-17T00:26:15Z
Mehedi Abedin
7113
84486
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = প্রধান তরকারি
| পরিবেশন = ৪–৫ জন
| তৈরির সময় = ১ ঘণ্টা
| কষ্টসাধ্য = 3
| খাদ্য শক্তি = উচ্চ
| টীকা = কলার মোচা দিয়ে তৈরি এই পদটি স্বাদে বৈচিত্র্যময় এবং শরীরের জন্য উপকারী। এটি নিরামিষ আহারে বিশেষভাবে জনপ্রিয়।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''মোচার ঘন্ট'''</big></center>
মোচার ঘন্ট বাঙালির ঐতিহ্যবাহী রান্নার একটি অত্যন্ত প্রিয় নিরামিষ পদ। এটি কলাগাছের ফুল বা মোচা ব্যবহার করে তৈরি হয় এবং বিশেষ করে বৈশাখী বা উপবাসের দিনে পরিবেশনের জন্য উপযুক্ত। মোচা রান্না করতে কিছুটা সময়সাপেক্ষ হলেও সঠিকভাবে প্রস্তুত করলে এর স্বাদ অতুলনীয় হয়। এতে মশলার পরিমাণ ভারসাম্য রেখে রান্না করলে এতে মনোমুগ্ধকর সুগন্ধ ও স্বাদ সৃষ্টি হয়।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! নাম !! পরিমাণ
|-
| কলার মোচা || ১টি (মাঝারি আকারের)
|-
| আলু || ২টি (কাটা)
|-
| নারকেল কোরানো || ১/২ কাপ
|-
| আদা বাটা || ১ টেবিল চামচ
|-
| পাঁপর কুচি (ঐচ্ছিক) || ১/২ কাপ
|-
| তেজপাতা || ২টি
|-
| শুকনো লঙ্কা || ২টি
|-
| পাঁচফোড়ন || ১/২ চা চামচ
|-
| হলুদ গুঁড়ো || ১/২ চা চামচ
|-
| জিরা গুঁড়ো || ১ চা চামচ
|-
| ধনে গুঁড়ো || ১ চা চামচ
|-
| লবণ || স্বাদমতো
|-
| সরিষার তেল || ৩ টেবিল চামচ
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# মোচা পরিষ্কার করে ছোট ছোট করে কেটে নিন এবং হালকা হলুদ ও নুন জলে মিশিয়ে সেদ্ধ করে নিন। এরপর পানি ঝরিয়ে হাত দিয়ে ভালোভাবে মেখে রাখুন।
# কড়াইয়ে সরিষার তেল গরম করে তেজপাতা, শুকনো লঙ্কা ও পাঁচফোড়ন ফোড়ন দিন।
# এতে আদা বাটা, জিরা ও ধনে গুঁড়ো দিয়ে কয়েক মিনিট ভাজুন।
# এবার সেদ্ধ মোচা, আলু ও নারকেল কোরানো দিয়ে দিন। সঙ্গে দিন স্বাদ অনুযায়ী লবণ ও সামান্য জল।
# মাঝারি আঁচে ঢেকে রান্না করুন যতক্ষণ না আলু নরম হয় এবং মোচা মশলার সঙ্গে ভালোভাবে মিশে যায়।
# শেষে একটুখানি সরিষার তেল ছড়িয়ে দিয়ে পরিবেশন করুন।
<span style=color:red;><center>'''গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন।'''</center></span>
== পরামর্শ ==
* মোচা পরিষ্কার করতে সময় লাগলেও এটি ঠিকভাবে পরিষ্কার করলে স্বাদ ভালো হয়।
* নারকেল ও মশলার সংমিশ্রণে মোচার ঘন্ট মিষ্টি ও মসলাদার স্বাদ পায়।
* পাঁপর কুচি ব্যবহার করলে একটি অতিরিক্ত বৈচিত্র্যপূর্ণ স্বাদ পাওয়া যায়।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:নিরামিষ পদ]]
[[Category:বাংলাদেশী খাবার]]
[[Category:ঐতিহ্যবাহী রান্না]]
fd2fcszxfedj8h2l4g1hgfcgzrrtyt8
রন্ধনপ্রণালী:মিষ্টি কুমড়া ভাজা
104
24817
84451
77887
2025-06-16T23:11:08Z
Mehedi Abedin
7113
84451
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = প্রধান খাবার
| পরিবেশন = ৪ জন
| তৈরির সময় = ১ ঘন্টা ৩০ মিনিট
| কষ্টসাধ্য = ৩
| খাদ্য শক্তি = উচ্চ
| টীকা = ঢাকার নোয়াখালীর বিখ্যাত মিষ্টি "মিষ্টি কুমড়া ভাজা" একটি স্বাদে অনন্য এবং ঐতিহ্যবাহী পদ, যা নানা উৎসবে বিশেষভাবে তৈরি হয়।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''মিষ্টি কুমড়া ভাজা'''</big></center>
মিষ্টি কুমড়া ভাজা বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলের এক বিশেষ ঐতিহ্যবাহী পদ। এই পদটি কুমড়ার মিষ্টি স্বাদ ও মসলার মিলনে তৈরি হয় যা খেতে মিষ্টি ও সুস্বাদু। এটি সাধারণত সকালে নাস্তার সঙ্গে বা বিকেলে চায়ের সঙ্গে পরিবেশন করা হয়। কুমড়ার পুষ্টিগুণের কারণে এটি শরীরের জন্যও উপকারী।
== উপকরণ ==
{|class="wikitable"
! নাম !! পরিমাণ
|-
| মিষ্টি কুমড়া || ১ কেজি
|-
| বেসন (ছোলা মটরের আটা) || ১ কাপ
|-
| গুড়া চিনি || ২ টেবিল চামচ
|-
| গোলমরিচ গুঁড়া || ১/২ চা চামচ
|-
| লবণ || স্বাদমতো
|-
| তেজপাতা (ছেঁড়া) || ২ টি
|-
| সরিষার তেল || ভাজার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# মিষ্টি কুমড়া ভালো করে ধুয়ে খোসা ছাড়িয়ে মাঝারি আকারে টুকরা করুন।
# একটি পাত্রে বেসন, চিনি, গোলমরিচ গুঁড়া, লবণ এবং ছেঁড়া তেজপাতা ভালো করে মিশিয়ে ঘন মিশ্রণ তৈরি করুন।
# কুমড়ার টুকরাগুলো মিশ্রণে ডুবিয়ে ভালো করে লেপে নিন।
# বড় একটি হাঁড়িতে সরিষার তেল গরম করুন।
# মাঝারি আঁচে কুমড়ার টুকরাগুলো ধীরে ধীরে ভেজে নিন যতক্ষণ না সোনালী রঙ ধারণ করে ও বাইরের দিক থেকে মচমচে হয়।
# ভাজা হলে তেল থেকে তুলে কাগজের উপর রেখে অতিরিক্ত তেল শোষণ করুন।
== পরিবেশন ==
মিষ্টি কুমড়া ভাজা গরম গরম পরিবেশন করুন, সঙ্গে চা বা ঠান্ডা শরবত দিতে পারেন। এটি একটি সহজ ও সুস্বাদু নাস্তা।
== স্বাস্থ্যগত উপকারিতা ==
কুমড়া ভিটামিন, ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ, যা পাচনতন্ত্র উন্নত করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। তবে ভাজার কারণে অতিরিক্ত গ্রহণ এড়ানো উচিত, বিশেষ করে যারা হৃৎস্পন্দন সমস্যা বা উচ্চ রক্তচাপ ভুগছেন তাদের জন্য।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:প্রধান খাবার]]
[[Category:বাংলাদেশী ঐতিহ্যবাহী খাবার]]
kltsiyktlbn6n609ej4ae5q384z4m6z
রন্ধনপ্রণালী:ফাফড়া
104
24819
84452
77891
2025-06-16T23:17:03Z
Mehedi Abedin
7113
84452
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = জলখাবার
| পরিবেশন = ৪-৫ জন
| তৈরির সময় = ১ ঘণ্টা ১৫ মিনিট
| কষ্টসাধ্য = ২
| খাদ্য শক্তি = মাঝারি
| টীকা = জনপ্রিয় গুজরাটি খাবার, যা মুড়ির চাটনি ও সরষে সসের সঙ্গে পরিবেশন করা হয়। এটি মচমচে ও মৃদু মশলাদার স্বাদের জন্য বিখ্যাত।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''ফাফড়া'''</big></center>
ফাফড়া ভারতের গুজরাত রাজ্যের একটি জনপ্রিয় জলখাবার। মুড়ির ময়দা দিয়ে তৈরি এই খাস্তা খাবারটি সাধারণত সরষে সস এবং মুড়ির চাটনির সঙ্গে খাওয়া হয়। এর মৃদু মশলার সংমিশ্রণ ও তীব্র স্বাদের জন্য এটি অনেকের প্রিয়।
== উপকরণ ==
{|class="wikitable"
! নাম !! পরিমাণ
|-
| মুড়ির ময়দা || ২ কাপ
|-
| সরিষার তেল || ২ টেবিল চামচ
|-
| লবণ || ১ চা চামচ
|-
| হলুদ গুঁড়ো || ১/২ চা চামচ
|-
| পানি || প্রয়োজনমতো
|-
| সরষে সস (সরষে বাটা, লবণ, তেল দিয়ে তৈরি) || পরিমাণমতো
|-
| মুড়ির চাটনি (মিঠা ও টক) || পরিবেশনের জন্য
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# মুড়ির ময়দা, লবণ, হলুদ গুঁড়ো ও সরিষার তেল মিশিয়ে ভালো করে নিন।
# ধীরে ধীরে পানি দিয়ে নরম ও মসৃণ খামী তৈরি করুন।
# খামীকে ঢেকে ৩০ মিনিট রাখতে দিন যাতে সেটি একটু ফ্রেশ হয়।
# ছোট ছোট বল তৈরি করে মুঠোয় নিয়ে হাত দিয়ে পাতে পাতে পাতলা আকার দিন।
# বড় পাত্রে সরষার তেল গরম করে মাঝারি আঁচে ফাফড়াগুলো ভাজুন যতক্ষণ না সেগুলো খাস্তা ও সোনালি বাদামী হয়ে যায়।
# ভাজা হয়ে গেলে কাগজের ওপর তুলে অতিরিক্ত তেল শুষে নিন।
== পরিবেশন ==
ফাফড়া গরম গরম সরষে সস ও মুড়ির মিষ্টি-টক চাটনির সঙ্গে পরিবেশন করুন। এটি সাধারণত সকালের নাস্তায় বা বিকেলের হালকা খাবার হিসেবে খাওয়া হয়।
== স্বাস্থ্যগত তথ্য ==
ফাফড়া ভাজা খাবার হওয়ায় বেশি খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত। তবে মাঝে মাঝে উৎসবের সময় বা বিশেষ মুহূর্তে খেতে মন্দ নয়। সরষে সসের উপাদান রক্ত সঞ্চালন ভালো রাখে এবং হজমে সাহায্য করে।
pxkj848g9bpv01tn50kz8kbikwck9ow
84453
84452
2025-06-16T23:18:10Z
Mehedi Abedin
7113
84453
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = জলখাবার
| পরিবেশন = ৪-৫ জন
| তৈরির সময় = ১ ঘণ্টা ১৫ মিনিট
| কষ্টসাধ্য = ২
| খাদ্য শক্তি = মাঝারি
| টীকা = জনপ্রিয় গুজরাটি খাবার, যা মুড়ির চাটনি ও সরষে সসের সঙ্গে পরিবেশন করা হয়। এটি মচমচে ও মৃদু মশলাদার স্বাদের জন্য বিখ্যাত।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''ফাফড়া'''</big></center>
ফাফড়া ভারতের গুজরাত রাজ্যের একটি জনপ্রিয় জলখাবার। মুড়ির ময়দা দিয়ে তৈরি এই খাস্তা খাবারটি সাধারণত সরষে সস এবং মুড়ির চাটনির সঙ্গে খাওয়া হয়। এর মৃদু মশলার সংমিশ্রণ ও তীব্র স্বাদের জন্য এটি অনেকের প্রিয়।
== উপকরণ ==
{|class="wikitable"
! নাম !! পরিমাণ
|-
| মুড়ির ময়দা || ২ কাপ
|-
| সরিষার তেল || ২ টেবিল চামচ
|-
| লবণ || ১ চা চামচ
|-
| হলুদ গুঁড়ো || ১/২ চা চামচ
|-
| পানি || প্রয়োজনমতো
|-
| সরষে সস (সরষে বাটা, লবণ, তেল দিয়ে তৈরি) || পরিমাণমতো
|-
| মুড়ির চাটনি (মিঠা ও টক) || পরিবেশনের জন্য
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# মুড়ির ময়দা, লবণ, হলুদ গুঁড়ো ও সরিষার তেল ভালো করে মিশিয়ে নিন।
# ধীরে ধীরে পানি দিয়ে নরম ও মসৃণ খামী তৈরি করুন।
# খামীকে ঢেকে ৩০ মিনিট রাখতে দিন যাতে সেটি একটু ফ্রেশ হয়।
# ছোট ছোট বল তৈরি করে মুঠোয় নিয়ে হাত দিয়ে পাতে পাতে পাতলা আকার দিন।
# বড় পাত্রে সরষার তেল গরম করে মাঝারি আঁচে ফাফড়াগুলো ভাজুন যতক্ষণ না সেগুলো খাস্তা ও সোনালি বাদামী হয়ে যায়।
# ভাজা হয়ে গেলে কাগজের ওপর তুলে অতিরিক্ত তেল শুষে নিন।
== পরিবেশন ==
ফাফড়া গরম গরম সরষে সস ও মুড়ির মিষ্টি-টক চাটনির সঙ্গে পরিবেশন করুন। এটি সাধারণত সকালের নাস্তায় বা বিকেলের হালকা খাবার হিসেবে খাওয়া হয়।
== স্বাস্থ্যগত তথ্য ==
ফাফড়া ভাজা খাবার হওয়ায় বেশি খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত। তবে মাঝে মাঝে উৎসবের সময় বা বিশেষ মুহূর্তে খেতে মন্দ নয়। সরষে সসের উপাদান রক্ত সঞ্চালন ভালো রাখে এবং হজমে সাহায্য করে।
l7wi3wnfws4eyced2t83a56zkbm96c4
84483
84453
2025-06-17T00:25:02Z
Mehedi Abedin
7113
84483
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = জলখাবার
| পরিবেশন = ৪-৫ জন
| তৈরির সময় = ১ ঘণ্টা ১৫ মিনিট
| কষ্টসাধ্য = ২
| খাদ্য শক্তি = মাঝারি
| টীকা = জনপ্রিয় গুজরাটি খাবার, যা মুড়ির চাটনি ও সরষে সসের সঙ্গে পরিবেশন করা হয়। এটি মচমচে ও মৃদু মশলাদার স্বাদের জন্য বিখ্যাত।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''ফাফড়া'''</big></center>
ফাফড়া ভারতের গুজরাত রাজ্যের একটি জনপ্রিয় জলখাবার। মুড়ির ময়দা দিয়ে তৈরি এই খাস্তা খাবারটি সাধারণত সরষে সস এবং মুড়ির চাটনির সঙ্গে খাওয়া হয়। এর মৃদু মশলার সংমিশ্রণ ও তীব্র স্বাদের জন্য এটি অনেকের প্রিয়।
== উপকরণ ==
{|class="wikitable"
! নাম !! পরিমাণ
|-
| মুড়ির ময়দা || ২ কাপ
|-
| সরিষার তেল || ২ টেবিল চামচ
|-
| লবণ || ১ চা চামচ
|-
| হলুদ গুঁড়ো || ১/২ চা চামচ
|-
| পানি || প্রয়োজনমতো
|-
| সরষে সস (সরষে বাটা, লবণ, তেল দিয়ে তৈরি) || পরিমাণমতো
|-
| মুড়ির চাটনি (মিঠা ও টক) || পরিবেশনের জন্য
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# মুড়ির ময়দা, লবণ, হলুদ গুঁড়ো ও সরিষার তেল ভালো করে মিশিয়ে নিন।
# ধীরে ধীরে পানি দিয়ে নরম ও মসৃণ খামী তৈরি করুন।
# খামীকে ঢেকে ৩০ মিনিট রাখতে দিন যাতে সেটি একটু ফ্রেশ হয়।
# ছোট ছোট বল তৈরি করে মুঠোয় নিয়ে হাত দিয়ে পাতে পাতে পাতলা আকার দিন।
# বড় পাত্রে সরষার তেল গরম করে মাঝারি আঁচে ফাফড়াগুলো ভাজুন যতক্ষণ না সেগুলো খাস্তা ও সোনালি বাদামী হয়ে যায়।
# ভাজা হয়ে গেলে কাগজের ওপর তুলে অতিরিক্ত তেল শুষে নিন।
== পরিবেশন ==
ফাফড়া গরম গরম সরষে সস ও মুড়ির মিষ্টি-টক চাটনির সঙ্গে পরিবেশন করুন। এটি সাধারণত সকালের নাস্তায় বা বিকেলের হালকা খাবার হিসেবে খাওয়া হয়।
phdsd16hbd22z8sojwl4v86suedhtuf
84484
84483
2025-06-17T00:25:22Z
Mehedi Abedin
7113
84484
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = জলখাবার
| পরিবেশন = ৪-৫ জন
| তৈরির সময় = ১ ঘণ্টা ১৫ মিনিট
| কষ্টসাধ্য = ২
| খাদ্য শক্তি = মাঝারি
| টীকা = জনপ্রিয় গুজরাটি খাবার, যা মুড়ির চাটনি ও সরষে সসের সঙ্গে পরিবেশন করা হয়। এটি মচমচে ও মৃদু মশলাদার স্বাদের জন্য বিখ্যাত।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''ফাফড়া'''</big></center>
ফাফড়া ভারতের গুজরাত রাজ্যের একটি জনপ্রিয় জলখাবার। মুড়ির ময়দা দিয়ে তৈরি এই খাস্তা খাবারটি সাধারণত সরষে সস এবং মুড়ির চাটনির সঙ্গে খাওয়া হয়। এর মৃদু মশলার সংমিশ্রণ ও তীব্র স্বাদের জন্য এটি অনেকের প্রিয়।
== উপকরণ ==
{|class="wikitable"
! নাম !! পরিমাণ
|-
| মুড়ির ময়দা || ২ কাপ
|-
| সরিষার তেল || ২ টেবিল চামচ
|-
| লবণ || ১ চা চামচ
|-
| হলুদ গুঁড়ো || ১/২ চা চামচ
|-
| পানি || প্রয়োজনমতো
|-
| সরষে সস (সরষে বাটা, লবণ, তেল দিয়ে তৈরি) || পরিমাণমতো
|-
| মুড়ির চাটনি (মিঠা ও টক) || পরিবেশনের জন্য
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# মুড়ির ময়দা, লবণ, হলুদ গুঁড়ো ও সরিষার তেল ভালো করে মিশিয়ে নিন।
# ধীরে ধীরে পানি দিয়ে নরম ও মসৃণ খামী তৈরি করুন।
# খামীকে ঢেকে ৩০ মিনিট রাখতে দিন যাতে সেটি একটু ফ্রেশ হয়।
# ছোট ছোট বল তৈরি করে মুঠোয় নিয়ে হাত দিয়ে পাতে পাতে পাতলা আকার দিন।
# বড় পাত্রে সরষার তেল গরম করে মাঝারি আঁচে ফাফড়াগুলো ভাজুন যতক্ষণ না সেগুলো খাস্তা ও সোনালি বাদামী হয়ে যায়।
# ভাজা হয়ে গেলে কাগজের ওপর তুলে অতিরিক্ত তেল শুষে নিন।
<span style=color:red;><center>'''গরম গরম সরষে সস ও মুড়ির মিষ্টি-টক চাটনির সঙ্গে পরিবেশন করুন।'''</center></span>
qx5wyjqvm9v7vvpijww6mgehie75p2s
রন্ধনপ্রণালী:মাছের দো পোয়া
104
24851
84454
77966
2025-06-16T23:22:35Z
Mehedi Abedin
7113
84454
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = প্রধান খাবার
| পরিবেশন = ৪ জন
| তৈরির সময় = ১ ঘণ্টা ১৫ মিনিট
| কষ্টসাধ্য = ৩
| খাদ্য শক্তি = উচ্চ
| টীকা = মশলা ও টকদুধ মেশানো মাংসের ঐতিহ্যবাহী পদ, যা বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় জনপ্রিয়।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''মাছের দো পোয়া'''</big></center>
মাছের দো পোয়া পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকার একটি জনপ্রিয় রান্না, যা টকদুধের মিশ্রণে মাংস বা মাছ সেদ্ধ করে তৈরি হয়। এর নাম এসেছে ‘দো পোয়া’ অর্থাৎ দুধে রান্না করা, যা রান্নার স্বাদে নরমত্ব ও টক স্বাদ যোগ করে। এটি গরম ভাতের সঙ্গে বিশেষভাবে উপভোগ্য।
== উপকরণ ==
{|class="wikitable"
! নাম !! পরিমাণ
|-
| মাছ (ইলিশ, রুই বা পাঙ্গাস) || ১ কেজি
|-
| টক দুধ || ১ কাপ
|-
| পেঁয়াজ কুচি || ১ কাপ
|-
| আদা বাটা || ২ টেবিল চামচ
|-
| রসুন বাটা || ১ টেবিল চামচ
|-
| কাঁচা মরিচ কুচি || ৩-৪ টি
|-
| হলুদ গুঁড়ো || ১ চা চামচ
|-
| লবণ || স্বাদমতো
|-
| সরিষার তেল || ১/২ কাপ
|-
| জিরা গুঁড়ো || ১ চা চামচ
|-
| ধনে পাতা (সাজানোর জন্য) || কিছু
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# মাছ ভালো করে ধুয়ে পরিস্কার করুন এবং বড় টুকরো করে কাটুন।
# একটি পাত্রে টক দুধ, হলুদ গুঁড়ো, আদা ও রসুন বাটা, লবণ মিশিয়ে মাংসের টুকরোগুলো কমপক্ষে ১ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন।
# একটি মাটির পাত্র বা মোটা তলার হাঁড়িতে সরিষার তেল গরম করুন।
# তেলের মধ্যে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে সোনালি হওয়া পর্যন্ত ভাজুন।
# এরপর জিরা গুঁড়ো ও কাঁচা মরিচ কুচি দিয়ে একটু নাড়ান।
# টক দুধে ভেজানো মাছের টুকরোগুলো যোগ করুন এবং মিশ্রণটি ধীরে ধীরে কষাতে থাকুন।
# ঢাকনা দিয়ে ঢেকে মাঝারি আঁচে মাছ সিদ্ধ হতে দিন। মাঝে মাঝে নেড়ে দিন যাতে মাছ ভেঙে না যায়।
# যখন মাছ সেদ্ধ হয়ে টকদুধ থেকে মিশ্রণ ঘন হয়ে আসবে, তখন ধনে পাতা ছড়িয়ে নামিয়ে নিন।
== পরিবেশন ==
গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন। মাছের দো পোয়া তার টক স্বাদের জন্য বিশেষ জনপ্রিয়।
== পরামর্শ ==
* টক দুধ বেশি হলে স্বাদ অতিরিক্ত টক হতে পারে, তাই সামঞ্জস্য রেখে ব্যবহার করুন।
* সরিষার তেল ব্যবহারে স্বাদ আরও মুগ্ধকর হয়।
* এই রান্নাটি স্বাস্থ্যসম্মত ও হজমে সহজ, কারণ এতে প্রয়োজনীয় মশলা ব্যবহার করা হয় যা পাচনশক্তি বৃদ্ধি করে।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:প্রধান খাবার]]
[[Category:বাংলাদেশি রান্না]]
[[Category:ঐতিহ্যবাহী খাবার]]
e7ocqf4sp13ctbw8lt4sn2cnuci1a8t
84455
84454
2025-06-16T23:23:21Z
Mehedi Abedin
7113
84455
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = প্রধান খাবার
| পরিবেশন = ৪ জন
| তৈরির সময় = ১ ঘণ্টা ১৫ মিনিট
| কষ্টসাধ্য = ৩
| খাদ্য শক্তি = উচ্চ
| টীকা = মশলা ও টকদুধ মেশানো মাংসের ঐতিহ্যবাহী পদ, যা বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় জনপ্রিয়।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''মাছের দো পোয়া'''</big></center>
মাছের দো পোয়া পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকার একটি জনপ্রিয় রান্না, যা টকদুধের মিশ্রণে মাংস বা মাছ সেদ্ধ করে তৈরি হয়। এর নাম এসেছে ‘দো পোয়া’ অর্থাৎ দুধে রান্না করা, যা রান্নার স্বাদে নরমত্ব ও টক স্বাদ যোগ করে। এটি গরম ভাতের সঙ্গে বিশেষভাবে উপভোগ্য।
== উপকরণ ==
{|class="wikitable"
! নাম !! পরিমাণ
|-
| মাছ (ইলিশ, রুই বা পাঙ্গাস) || ১ কেজি
|-
| টক দুধ || ১ কাপ
|-
| পেঁয়াজ কুচি || ১ কাপ
|-
| আদা বাটা || ২ টেবিল চামচ
|-
| রসুন বাটা || ১ টেবিল চামচ
|-
| কাঁচা মরিচ কুচি || ৩-৪ টি
|-
| হলুদ গুঁড়ো || ১ চা চামচ
|-
| লবণ || স্বাদমতো
|-
| সরিষার তেল || ১/২ কাপ
|-
| জিরা গুঁড়ো || ১ চা চামচ
|-
| ধনে পাতা (সাজানোর জন্য) || কিছু
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# মাছ ভালো করে ধুয়ে পরিস্কার করুন এবং বড় টুকরো করে কাটুন।
# একটি পাত্রে টক দুধ, হলুদ গুঁড়ো, আদা ও রসুন বাটা, লবণ মিশিয়ে মাছের টুকরোগুলো কমপক্ষে ১ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন।
# একটি মাটির পাত্র বা মোটা তলার হাঁড়িতে সরিষার তেল গরম করুন।
# তেলের মধ্যে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে সোনালি হওয়া পর্যন্ত ভাজুন।
# এরপর জিরা গুঁড়ো ও কাঁচা মরিচ কুচি দিয়ে একটু নাড়ান।
# টক দুধে ভেজানো মাছের টুকরোগুলো যোগ করুন এবং মিশ্রণটি ধীরে ধীরে কষাতে থাকুন।
# ঢাকনা দিয়ে ঢেকে মাঝারি আঁচে মাছ সিদ্ধ হতে দিন। মাঝে মাঝে নেড়ে দিন যাতে মাছ ভেঙে না যায়।
# যখন মাছ সেদ্ধ হয়ে টকদুধ থেকে মিশ্রণ ঘন হয়ে আসবে, তখন ধনে পাতা ছড়িয়ে নামিয়ে নিন।
== পরিবেশন ==
গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন। মাছের দো পোয়া তার টক স্বাদের জন্য বিশেষ জনপ্রিয়।
== পরামর্শ ==
* টক দুধ বেশি হলে স্বাদ অতিরিক্ত টক হতে পারে, তাই সামঞ্জস্য রেখে ব্যবহার করুন।
* সরিষার তেল ব্যবহারে স্বাদ আরও মুগ্ধকর হয়।
* এই রান্নাটি স্বাস্থ্যসম্মত ও হজমে সহজ, কারণ এতে প্রয়োজনীয় মশলা ব্যবহার করা হয় যা পাচনশক্তি বৃদ্ধি করে।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:প্রধান খাবার]]
[[Category:বাংলাদেশি রান্না]]
[[Category:ঐতিহ্যবাহী খাবার]]
1ej9n40aok0att12s1z7kmoaw0vavqo
84456
84455
2025-06-16T23:24:16Z
Mehedi Abedin
7113
84456
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = প্রধান খাবার
| পরিবেশন = ৪ জন
| তৈরির সময় = ১ ঘণ্টা ১৫ মিনিট
| কষ্টসাধ্য = ৩
| খাদ্য শক্তি = উচ্চ
| টীকা = মশলা ও টকদুধ মেশানো মাংসের ঐতিহ্যবাহী পদ, যা বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় জনপ্রিয়।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''মাছের দো পোয়া'''</big></center>
মাছের দো পোয়া পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকার একটি জনপ্রিয় রান্না, যা টকদুধের মিশ্রণে মাংস বা মাছ সেদ্ধ করে তৈরি হয়। এর নাম এসেছে ‘দো পোয়া’ অর্থাৎ দুধে রান্না করা, যা রান্নার স্বাদে নরমত্ব ও টক স্বাদ যোগ করে। এটি গরম ভাতের সঙ্গে বিশেষভাবে উপভোগ্য।
== উপকরণ ==
{|class="wikitable"
! নাম !! পরিমাণ
|-
| মাছ (ইলিশ, রুই বা পাঙ্গাস) || ১ কেজি
|-
| টক দুধ || ১ কাপ
|-
| পেঁয়াজ কুচি || ১ কাপ
|-
| আদা বাটা || ২ টেবিল চামচ
|-
| রসুন বাটা || ১ টেবিল চামচ
|-
| কাঁচা মরিচ কুচি || ৩-৪ টি
|-
| হলুদ গুঁড়ো || ১ চা চামচ
|-
| লবণ || স্বাদমতো
|-
| সরিষার তেল || ১/২ কাপ
|-
| জিরা গুঁড়ো || ১ চা চামচ
|-
| ধনে পাতা (সাজানোর জন্য) || কিছু
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# মাছ ভালো করে ধুয়ে পরিস্কার করুন এবং বড় টুকরো করে কাটুন।
# একটি পাত্রে টক দুধ, হলুদ গুঁড়ো, আদা ও রসুন বাটা, লবণ মিশিয়ে মাছের টুকরোগুলো কমপক্ষে ১ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন।
# একটি মাটির পাত্র বা মোটা তলার হাঁড়িতে সরিষার তেল গরম করুন।
# তেলের মধ্যে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে সোনালি হওয়া পর্যন্ত ভাজুন।
# এরপর জিরা গুঁড়ো ও কাঁচা মরিচ কুচি দিয়ে একটু নাড়ান।
# টক দুধে ভেজানো মাছের টুকরোগুলো যোগ করুন এবং মিশ্রণটি ধীরে ধীরে কষাতে থাকুন।
# ঢাকনা দিয়ে ঢেকে মাঝারি আঁচে মাছ সিদ্ধ হতে দিন। মাঝে মাঝে নেড়ে দিন যাতে মাছ ভেঙে না যায়।
# যখন মাছ সেদ্ধ হয়ে টকদুধ থেকে মিশ্রণ ঘন হয়ে আসবে, তখন ধনে পাতা ছড়িয়ে নামিয়ে নিন।
== পরিবেশন ==
গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন। মাছের দো পোয়া তার টক স্বাদের জন্য বিশেষ জনপ্রিয়।
== পরামর্শ ==
* টক দুধ বেশি হলে স্বাদ অতিরিক্ত টক হতে পারে, তাই সামঞ্জস্য রেখে ব্যবহার করুন।
* সরিষার তেল ব্যবহারে স্বাদ আরও মুগ্ধকর হয়।
* এই রান্নাটি স্বাস্থ্যসম্মত ও হজমে সহজ, কারণ এতে প্রয়োজনীয় মশলা ব্যবহার করা হয় যা পাচনশক্তি বৃদ্ধি করে।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:প্রধান খাবার]]
[[Category:বাংলাদেশী রান্না]]
[[Category:ঐতিহ্যবাহী খাবার]]
7uqyxbk80so4pq6udhehqf5in0kpcme
84482
84456
2025-06-17T00:24:36Z
Mehedi Abedin
7113
84482
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = প্রধান খাবার
| পরিবেশন = ৪ জন
| তৈরির সময় = ১ ঘণ্টা ১৫ মিনিট
| কষ্টসাধ্য = ৩
| খাদ্য শক্তি = উচ্চ
| টীকা = মশলা ও টকদুধ মেশানো মাংসের ঐতিহ্যবাহী পদ, যা বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় জনপ্রিয়।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''মাছের দো পোয়া'''</big></center>
মাছের দো পোয়া পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকার একটি জনপ্রিয় রান্না, যা টকদুধের মিশ্রণে মাংস বা মাছ সেদ্ধ করে তৈরি হয়। এর নাম এসেছে ‘দো পোয়া’ অর্থাৎ দুধে রান্না করা, যা রান্নার স্বাদে নরমত্ব ও টক স্বাদ যোগ করে। এটি গরম ভাতের সঙ্গে বিশেষভাবে উপভোগ্য।
== উপকরণ ==
{|class="wikitable"
! নাম !! পরিমাণ
|-
| মাছ (ইলিশ, রুই বা পাঙ্গাস) || ১ কেজি
|-
| টক দুধ || ১ কাপ
|-
| পেঁয়াজ কুচি || ১ কাপ
|-
| আদা বাটা || ২ টেবিল চামচ
|-
| রসুন বাটা || ১ টেবিল চামচ
|-
| কাঁচা মরিচ কুচি || ৩-৪ টি
|-
| হলুদ গুঁড়ো || ১ চা চামচ
|-
| লবণ || স্বাদমতো
|-
| সরিষার তেল || ১/২ কাপ
|-
| জিরা গুঁড়ো || ১ চা চামচ
|-
| ধনে পাতা (সাজানোর জন্য) || কিছু
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# মাছ ভালো করে ধুয়ে পরিস্কার করুন এবং বড় টুকরো করে কাটুন।
# একটি পাত্রে টক দুধ, হলুদ গুঁড়ো, আদা ও রসুন বাটা, লবণ মিশিয়ে মাছের টুকরোগুলো কমপক্ষে ১ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন।
# একটি মাটির পাত্র বা মোটা তলার হাঁড়িতে সরিষার তেল গরম করুন।
# তেলের মধ্যে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে সোনালি হওয়া পর্যন্ত ভাজুন।
# এরপর জিরা গুঁড়ো ও কাঁচা মরিচ কুচি দিয়ে একটু নাড়ান।
# টক দুধে ভেজানো মাছের টুকরোগুলো যোগ করুন এবং মিশ্রণটি ধীরে ধীরে কষাতে থাকুন।
# ঢাকনা দিয়ে ঢেকে মাঝারি আঁচে মাছ সিদ্ধ হতে দিন। মাঝে মাঝে নেড়ে দিন যাতে মাছ ভেঙে না যায়।
# যখন মাছ সেদ্ধ হয়ে টকদুধ থেকে মিশ্রণ ঘন হয়ে আসবে, তখন ধনে পাতা ছড়িয়ে নামিয়ে নিন।
<span style=color:red;><center>'''গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন।'''</center></span>
== পরামর্শ ==
* টক দুধ বেশি হলে স্বাদ অতিরিক্ত টক হতে পারে, তাই সামঞ্জস্য রেখে ব্যবহার করুন।
* সরিষার তেল ব্যবহারে স্বাদ আরও মুগ্ধকর হয়।
* এই রান্নাটি স্বাস্থ্যসম্মত ও হজমে সহজ, কারণ এতে প্রয়োজনীয় মশলা ব্যবহার করা হয় যা পাচনশক্তি বৃদ্ধি করে।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:প্রধান খাবার]]
[[Category:বাংলাদেশী রান্না]]
[[Category:ঐতিহ্যবাহী খাবার]]
d2xvt285n7pt160wzxgom2r8avsuthv
রন্ধনপ্রণালী:গরুর মাংসের ঝুরি
104
24853
84457
77968
2025-06-16T23:26:20Z
Mehedi Abedin
7113
84457
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = প্রধান খাবার
| পরিবেশন = ৪–৫ জন
| তৈরির সময় = ২ ঘণ্টা
| কষ্টসাধ্য = 4
| খাদ্য শক্তি = উচ্চ
| টীকা = ঐতিহ্যবাহী ও প্রাচীন ঘরানার পদ, যা ধৈর্য ও সময় নিয়ে ধাপে ধাপে রান্না করতে হয়। এটি সাধারণত খাসা স্বাদের এবং মসলার দারুণ সমন্বয় থাকে।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''গরুর মাংসের ঝুরি'''</big></center>
গরুর মাংসের ঝুরি এমন একটি পদ, যা মূলত ধীরে ধীরে রান্না করে মাংসকে একেবারে টুকরো টুকরো বা 'ঝুরি' আকারে ভেঙে তৈরি করা হয়। এটি একটি সময়সাপেক্ষ কিন্তু চমৎকার স্বাদের পদ, যেটি খিচুড়ি, ভাত কিংবা রুটি-পরোটা দিয়ে খাওয়া যায়। বিশেষত ঈদের পরদিন বা উৎসবের পর অবশিষ্ট মাংস দিয়েও এটি তৈরি করা হয়।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! নাম !! পরিমাণ
|-
| গরুর মাংস (হাড় ছাড়া) || ১ কেজি
|-
| পেঁয়াজ কুঁচি || ২ কাপ
|-
| আদা বাটা || ২ টেবিল চামচ
|-
| রসুন বাটা || ২ টেবিল চামচ
|-
| শুকনা মরিচ গুঁড়া || ১ টেবিল চামচ
|-
| হলুদ গুঁড়া || ১ চা চামচ
|-
| জিরা গুঁড়া || ১ চা চামচ
|-
| ধনে গুঁড়া || ১ চা চামচ
|-
| গরম মসলা গুঁড়া || ১ চা চামচ
|-
| তেজপাতা || ২টি
|-
| দারুচিনি, এলাচ, লবঙ্গ || ২–৩টি করে
|-
| লবণ || পরিমাণমতো
|-
| সরিষার তেল || ১/২ কাপ
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# প্রথমে গরুর মাংস ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিন এবং বড় টুকরো করে কেটে নিন।
# একটি হাঁড়িতে পানি, লবণ, তেজপাতা দিয়ে মাংস সেদ্ধ করুন যতক্ষণ না এটি একেবারে নরম হয়ে যায়। প্রয়োজনে প্রেসার কুকার ব্যবহার করা যেতে পারে।
# সেদ্ধ হয়ে গেলে মাংস ঠান্ডা করে হাতে বা কাঁটা চামচ দিয়ে চুল চুল করে ভেঙে ফেলুন – এটিই 'ঝুরি' করা অংশ।
# একটি পাত্রে সরিষার তেল গরম করে তাতে দারুচিনি, এলাচ, লবঙ্গ দিয়ে ফোড়ন দিন।
# এরপর পেঁয়াজ কুঁচি দিয়ে বাদামি রঙ না হওয়া পর্যন্ত ভাজুন।
# তাতে আদা, রসুন বাটা দিয়ে ভালোভাবে কষিয়ে নিন।
# শুকনা মরিচ, হলুদ, ধনে, জিরা গুঁড়া দিয়ে আরও কিছুক্ষণ কষান যতক্ষণ না মসলা তেল ছাড়ে।
# এবার ঝুরি করা মাংস মসলায় দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে দিন।
# অল্প আঁচে রেখে ধীরে ধীরে নাড়ুন, যেন মাংস মসলায় পুরোপুরি মিশে যায় এবং একটু শুকনো হয়ে আসে।
# শেষে গরম মসলা ছিটিয়ে ৫ মিনিট দমে রাখুন।
== পরিবেশন ==
গরুর মাংসের ঝুরি সাধারণত খিচুড়ি, সাদা ভাত বা পরোটার সঙ্গে পরিবেশন করা হয়। এর ঘ্রাণ এবং টেক্সচার এতটাই সমৃদ্ধ যে, এটি একাই একটি রুচিশীল আহারের জন্য যথেষ্ট।
== পরামর্শ ==
* ঝুরি তৈরির জন্য মাংস অবশ্যই ভালোভাবে সেদ্ধ এবং নরম হওয়া জরুরি, নাহলে ঝুরি করা কষ্টকর হবে।
* ইচ্ছা হলে রান্নার শেষে কয়লার ধোঁয়া দিয়ে সুগন্ধ যুক্ত করা যায়।
* সরিষার তেলের স্বাদ এই রেসিপিতে অতুলনীয়, তাই অন্য তেলের পরিবর্তে এটি ব্যবহার করাই ভালো।
== স্বাস্থ্য উপকারিতা ও ঝুঁকি ==
গরুর মাংস প্রোটিনসমৃদ্ধ হলেও এটি উচ্চমাত্রার কোলেস্টেরল বহন করে। তাই যারা উচ্চ রক্তচাপ বা হৃদরোগে ভুগছেন, তাদের জন্য নিয়ন্ত্রিত পরিমাণে খাওয়াই উত্তম। তবে নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রমকারীদের জন্য এটি শক্তি যোগানোর দারুণ উৎস হতে পারে। অতিরিক্ত তেল ও মসলা পরিহার করে স্বাস্থ্যকরভাবে রান্না করা সম্ভব হলে এই পদটি উপভোগ্য ও পুষ্টিকর হতে পারে।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:বাংলাদেশি গরুর মাংসের পদ]]
[[Category:ঐতিহ্যবাহী খাবার]]
[[Category:প্রধান খাবার]]
ama8yxsvuwoyg3x3p4vj0z4ezgj6nyd
84458
84457
2025-06-16T23:28:31Z
Mehedi Abedin
7113
84458
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = প্রধান খাবার
| পরিবেশন = ৪–৫ জন
| তৈরির সময় = ২ ঘণ্টা
| কষ্টসাধ্য = 4
| খাদ্য শক্তি = উচ্চ
| টীকা = ঐতিহ্যবাহী ও প্রাচীন ঘরানার পদ, যা ধৈর্য ও সময় নিয়ে ধাপে ধাপে রান্না করতে হয়। এটি সাধারণত খাসা স্বাদের এবং মসলার দারুণ সমন্বয় থাকে।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''গরুর মাংসের ঝুরি'''</big></center>
গরুর মাংসের ঝুরি এমন একটি পদ, যা মূলত ধীরে ধীরে রান্না করে মাংসকে একেবারে টুকরো টুকরো বা 'ঝুরি' আকারে ভেঙে তৈরি করা হয়। এটি একটি সময়সাপেক্ষ কিন্তু চমৎকার স্বাদের পদ, যেটি খিচুড়ি, ভাত কিংবা রুটি-পরোটা দিয়ে খাওয়া যায়। বিশেষত ঈদের পরদিন বা উৎসবের পর অবশিষ্ট মাংস দিয়েও এটি তৈরি করা হয়।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! নাম !! পরিমাণ
|-
| গরুর মাংস (হাড় ছাড়া) || ১ কেজি
|-
| পেঁয়াজ কুঁচি || ২ কাপ
|-
| আদা বাটা || ২ টেবিল চামচ
|-
| রসুন বাটা || ২ টেবিল চামচ
|-
| শুকনা মরিচ গুঁড়া || ১ টেবিল চামচ
|-
| হলুদ গুঁড়া || ১ চা চামচ
|-
| জিরা গুঁড়া || ১ চা চামচ
|-
| ধনে গুঁড়া || ১ চা চামচ
|-
| গরম মসলা গুঁড়া || ১ চা চামচ
|-
| তেজপাতা || ২টি
|-
| দারুচিনি, এলাচ, লবঙ্গ || ২–৩টি করে
|-
| লবণ || পরিমাণমতো
|-
| সরিষার তেল || ১/২ কাপ
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# প্রথমে গরুর মাংস ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিন এবং বড় টুকরো করে কেটে নিন।
# একটি হাঁড়িতে পানি, লবণ, তেজপাতা দিয়ে মাংস সেদ্ধ করুন যতক্ষণ না এটি একেবারে নরম হয়ে যায়। প্রয়োজনে প্রেসার কুকার ব্যবহার করা যেতে পারে।
# সেদ্ধ হয়ে গেলে মাংস ঠান্ডা করে হাতে বা কাঁটা চামচ দিয়ে চুল চুল করে ভেঙে ফেলুন – এটিই 'ঝুরি' করা অংশ।
# একটি পাত্রে সরিষার তেল গরম করে তাতে দারুচিনি, এলাচ, লবঙ্গ দিয়ে ফোড়ন দিন।
# এরপর পেঁয়াজ কুঁচি দিয়ে বাদামি রঙ না হওয়া পর্যন্ত ভাজুন।
# তাতে আদা, রসুন বাটা দিয়ে ভালোভাবে কষিয়ে নিন।
# শুকনা মরিচ, হলুদ, ধনে, জিরা গুঁড়া দিয়ে আরও কিছুক্ষণ কষান যতক্ষণ না মসলা তেল ছাড়ে।
# এবার ঝুরি করা মাংস মসলায় দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে দিন।
# অল্প আঁচে রেখে ধীরে ধীরে নাড়ুন, যেন মাংস মসলায় পুরোপুরি মিশে যায় এবং একটু শুকনো হয়ে আসে।
# শেষে গরম মসলা ছিটিয়ে ৫ মিনিট দমে রাখুন।
== পরিবেশন ==
গরুর মাংসের ঝুরি সাধারণত খিচুড়ি, সাদা ভাত বা পরোটার সঙ্গে পরিবেশন করা হয়। এর ঘ্রাণ এবং টেক্সচার এতটাই সমৃদ্ধ যে, এটি একাই একটি রুচিশীল আহারের জন্য যথেষ্ট।
== পরামর্শ ==
* ঝুরি তৈরির জন্য মাংস অবশ্যই ভালোভাবে সেদ্ধ এবং নরম হওয়া জরুরি, নাহলে ঝুরি করা কষ্টকর হবে।
* ইচ্ছা হলে রান্নার শেষে কয়লার ধোঁয়া দিয়ে সুগন্ধ যুক্ত করা যায়।
* সরিষার তেলের স্বাদ এই রেসিপিতে অতুলনীয়, তাই অন্য তেলের পরিবর্তে এটি ব্যবহার করাই ভালো।
== স্বাস্থ্য উপকারিতা ও ঝুঁকি ==
গরুর মাংস প্রোটিনসমৃদ্ধ হলেও এটি উচ্চমাত্রার কোলেস্টেরল বহন করে। তাই যারা উচ্চ রক্তচাপ বা হৃদরোগে ভুগছেন, তাদের জন্য নিয়ন্ত্রিত পরিমাণে খাওয়াই উত্তম। তবে নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রমকারীদের জন্য এটি শক্তি যোগানোর দারুণ উৎস হতে পারে। অতিরিক্ত তেল ও মসলা পরিহার করে স্বাস্থ্যকরভাবে রান্না করা সম্ভব হলে এই পদটি উপভোগ্য ও পুষ্টিকর হতে পারে।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:বাংলাদেশী গরুর মাংসের পদ]]
[[Category:ঐতিহ্যবাহী খাবার]]
[[Category:প্রধান খাবার]]
hnt03v6s4wkolaucnsyaoetrp3n2lag
84480
84458
2025-06-17T00:23:03Z
Mehedi Abedin
7113
84480
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = প্রধান খাবার
| পরিবেশন = ৪–৫ জন
| তৈরির সময় = ২ ঘণ্টা
| কষ্টসাধ্য = 4
| খাদ্য শক্তি = উচ্চ
| টীকা = ঐতিহ্যবাহী ও প্রাচীন ঘরানার পদ, যা ধৈর্য ও সময় নিয়ে ধাপে ধাপে রান্না করতে হয়। এটি সাধারণত খাসা স্বাদের এবং মসলার দারুণ সমন্বয় থাকে।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''গরুর মাংসের ঝুরি'''</big></center>
গরুর মাংসের ঝুরি এমন একটি পদ, যা মূলত ধীরে ধীরে রান্না করে মাংসকে একেবারে টুকরো টুকরো বা 'ঝুরি' আকারে ভেঙে তৈরি করা হয়। এটি একটি সময়সাপেক্ষ কিন্তু চমৎকার স্বাদের পদ, যেটি খিচুড়ি, ভাত কিংবা রুটি-পরোটা দিয়ে খাওয়া যায়। বিশেষত ঈদের পরদিন বা উৎসবের পর অবশিষ্ট মাংস দিয়েও এটি তৈরি করা হয়।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! নাম !! পরিমাণ
|-
| গরুর মাংস (হাড় ছাড়া) || ১ কেজি
|-
| পেঁয়াজ কুঁচি || ২ কাপ
|-
| আদা বাটা || ২ টেবিল চামচ
|-
| রসুন বাটা || ২ টেবিল চামচ
|-
| শুকনা মরিচ গুঁড়া || ১ টেবিল চামচ
|-
| হলুদ গুঁড়া || ১ চা চামচ
|-
| জিরা গুঁড়া || ১ চা চামচ
|-
| ধনে গুঁড়া || ১ চা চামচ
|-
| গরম মসলা গুঁড়া || ১ চা চামচ
|-
| তেজপাতা || ২টি
|-
| দারুচিনি, এলাচ, লবঙ্গ || ২–৩টি করে
|-
| লবণ || পরিমাণমতো
|-
| সরিষার তেল || ১/২ কাপ
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# প্রথমে গরুর মাংস ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিন এবং বড় টুকরো করে কেটে নিন।
# একটি হাঁড়িতে পানি, লবণ, তেজপাতা দিয়ে মাংস সেদ্ধ করুন যতক্ষণ না এটি একেবারে নরম হয়ে যায়। প্রয়োজনে প্রেসার কুকার ব্যবহার করা যেতে পারে।
# সেদ্ধ হয়ে গেলে মাংস ঠান্ডা করে হাতে বা কাঁটা চামচ দিয়ে চুল চুল করে ভেঙে ফেলুন – এটিই 'ঝুরি' করা অংশ।
# একটি পাত্রে সরিষার তেল গরম করে তাতে দারুচিনি, এলাচ, লবঙ্গ দিয়ে ফোড়ন দিন।
# এরপর পেঁয়াজ কুঁচি দিয়ে বাদামি রঙ না হওয়া পর্যন্ত ভাজুন।
# তাতে আদা, রসুন বাটা দিয়ে ভালোভাবে কষিয়ে নিন।
# শুকনা মরিচ, হলুদ, ধনে, জিরা গুঁড়া দিয়ে আরও কিছুক্ষণ কষান যতক্ষণ না মসলা তেল ছাড়ে।
# এবার ঝুরি করা মাংস মসলায় দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে দিন।
# অল্প আঁচে রেখে ধীরে ধীরে নাড়ুন, যেন মাংস মসলায় পুরোপুরি মিশে যায় এবং একটু শুকনো হয়ে আসে।
# শেষে গরম মসলা ছিটিয়ে ৫ মিনিট দমে রাখুন।
== পরিবেশন ==
গরুর মাংসের ঝুরি সাধারণত খিচুড়ি, সাদা ভাত বা পরোটার সঙ্গে পরিবেশন করা হয়। এর ঘ্রাণ এবং টেক্সচার এতটাই সমৃদ্ধ যে, এটি একাই একটি রুচিশীল আহারের জন্য যথেষ্ট।
== পরামর্শ ==
* ঝুরি তৈরির জন্য মাংস অবশ্যই ভালোভাবে সেদ্ধ এবং নরম হওয়া জরুরি, নাহলে ঝুরি করা কষ্টকর হবে।
* ইচ্ছা হলে রান্নার শেষে কয়লার ধোঁয়া দিয়ে সুগন্ধ যুক্ত করা যায়।
* সরিষার তেলের স্বাদ এই রেসিপিতে অতুলনীয়, তাই অন্য তেলের পরিবর্তে এটি ব্যবহার করাই ভালো।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:বাংলাদেশী গরুর মাংসের পদ]]
[[Category:ঐতিহ্যবাহী খাবার]]
[[Category:প্রধান খাবার]]
rsd2dlhsdzs61zcvojwhz9e52kojrxh
84481
84480
2025-06-17T00:23:55Z
Mehedi Abedin
7113
84481
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = প্রধান খাবার
| পরিবেশন = ৪–৫ জন
| তৈরির সময় = ২ ঘণ্টা
| কষ্টসাধ্য = 4
| খাদ্য শক্তি = উচ্চ
| টীকা = ঐতিহ্যবাহী ও প্রাচীন ঘরানার পদ, যা ধৈর্য ও সময় নিয়ে ধাপে ধাপে রান্না করতে হয়। এটি সাধারণত খাসা স্বাদের এবং মসলার দারুণ সমন্বয় থাকে।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''গরুর মাংসের ঝুরি'''</big></center>
গরুর মাংসের ঝুরি এমন একটি পদ, যা মূলত ধীরে ধীরে রান্না করে মাংসকে একেবারে টুকরো টুকরো বা 'ঝুরি' আকারে ভেঙে তৈরি করা হয়। এটি একটি সময়সাপেক্ষ কিন্তু চমৎকার স্বাদের পদ, যেটি খিচুড়ি, ভাত কিংবা রুটি-পরোটা দিয়ে খাওয়া যায়। বিশেষত ঈদের পরদিন বা উৎসবের পর অবশিষ্ট মাংস দিয়েও এটি তৈরি করা হয়।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! নাম !! পরিমাণ
|-
| গরুর মাংস (হাড় ছাড়া) || ১ কেজি
|-
| পেঁয়াজ কুঁচি || ২ কাপ
|-
| আদা বাটা || ২ টেবিল চামচ
|-
| রসুন বাটা || ২ টেবিল চামচ
|-
| শুকনা মরিচ গুঁড়া || ১ টেবিল চামচ
|-
| হলুদ গুঁড়া || ১ চা চামচ
|-
| জিরা গুঁড়া || ১ চা চামচ
|-
| ধনে গুঁড়া || ১ চা চামচ
|-
| গরম মসলা গুঁড়া || ১ চা চামচ
|-
| তেজপাতা || ২টি
|-
| দারুচিনি, এলাচ, লবঙ্গ || ২–৩টি করে
|-
| লবণ || পরিমাণমতো
|-
| সরিষার তেল || ১/২ কাপ
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# প্রথমে গরুর মাংস ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিন এবং বড় টুকরো করে কেটে নিন।
# একটি হাঁড়িতে পানি, লবণ, তেজপাতা দিয়ে মাংস সেদ্ধ করুন যতক্ষণ না এটি একেবারে নরম হয়ে যায়। প্রয়োজনে প্রেসার কুকার ব্যবহার করা যেতে পারে।
# সেদ্ধ হয়ে গেলে মাংস ঠান্ডা করে হাতে বা কাঁটা চামচ দিয়ে চুল চুল করে ভেঙে ফেলুন – এটিই 'ঝুরি' করা অংশ।
# একটি পাত্রে সরিষার তেল গরম করে তাতে দারুচিনি, এলাচ, লবঙ্গ দিয়ে ফোড়ন দিন।
# এরপর পেঁয়াজ কুঁচি দিয়ে বাদামি রঙ না হওয়া পর্যন্ত ভাজুন।
# তাতে আদা, রসুন বাটা দিয়ে ভালোভাবে কষিয়ে নিন।
# শুকনা মরিচ, হলুদ, ধনে, জিরা গুঁড়া দিয়ে আরও কিছুক্ষণ কষান যতক্ষণ না মসলা তেল ছাড়ে।
# এবার ঝুরি করা মাংস মসলায় দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে দিন।
# অল্প আঁচে রেখে ধীরে ধীরে নাড়ুন, যেন মাংস মসলায় পুরোপুরি মিশে যায় এবং একটু শুকনো হয়ে আসে।
# শেষে গরম মসলা ছিটিয়ে ৫ মিনিট দমে রাখুন।
<span style=color:red;><center>'''খিচুড়ি, সাদা ভাত বা পরোটার সঙ্গে পরিবেশন করুন।'''</center></span>
== পরামর্শ ==
* ঝুরি তৈরির জন্য মাংস অবশ্যই ভালোভাবে সেদ্ধ এবং নরম হওয়া জরুরি, নাহলে ঝুরি করা কষ্টকর হবে।
* ইচ্ছা হলে রান্নার শেষে কয়লার ধোঁয়া দিয়ে সুগন্ধ যুক্ত করা যায়।
* সরিষার তেলের স্বাদ এই রেসিপিতে অতুলনীয়, তাই অন্য তেলের পরিবর্তে এটি ব্যবহার করাই ভালো।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:বাংলাদেশী গরুর মাংসের পদ]]
[[Category:ঐতিহ্যবাহী খাবার]]
[[Category:প্রধান খাবার]]
iwefs53on3umb129hie509ba1oumaqy
রন্ধনপ্রণালী:খেজুরের ক্ষীর
104
24855
84459
77971
2025-06-16T23:29:59Z
Mehedi Abedin
7113
84459
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = মিষ্টান্ন
| পরিবেশন = ৫–৬ জন
| তৈরির সময় = ১ ঘণ্টা
| কষ্টসাধ্য = ৩
| খাদ্য শক্তি = মাঝারি
| টীকা = শীতকালের এক অপূর্ব মিষ্টান্ন যা খেজুরের গুড় দিয়ে রান্না হয় এবং বাংলার ঘরে ঘরে এর স্বাদে মুগ্ধতা ছড়ায়।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''খেজুরের ক্ষীর'''</big></center>
খেজুরের ক্ষীর এমন একটি মিষ্টান্ন যা বাংলার শীতকালীন ঐতিহ্যের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। খেজুরের গুড়ের মোহনীয় সুগন্ধ, ঘন দুধ এবং চালের নরম স্বাদ এই মিষ্টান্নটিকে অসাধারণ এক মাত্রায় পৌঁছে দেয়। সাধারণ দুধ-চাল ক্ষীর থেকে এটি অনেক বেশি সমৃদ্ধ এবং সুস্বাদু হয়।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! নাম !! পরিমাণ
|-
| গরুর দুধ || ২ লিটার
|-
| আতপ চাল || ১/২ কাপ
|-
| খেজুর গুড় || ১ কাপ (স্বাদমতো কম-বেশি করা যায়)
|-
| তেজপাতা || ২টি
|-
| দারুচিনি || ২ টুকরো
|-
| এলাচ || ৩টি
|-
| কাজু, কিসমিস, বাদাম || ইচ্ছামতো (সাজানোর জন্য)
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# প্রথমে আতপ চাল ধুয়ে ২০ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন।
# দুধ একটি মোটা পাত্রে নিয়ে চুলায় বসান এবং তাতে তেজপাতা, দারুচিনি, এলাচ দিন।
# দুধ ফুটে উঠলে আঁচ কমিয়ে দিন এবং ধীরে ধীরে নাড়তে থাকুন যাতে নিচে লেগে না যায়।
# দুধ কিছুটা ঘন হয়ে এলে চাল ছেড়ে দিন এবং নাড়তে থাকুন।
# চাল সেদ্ধ হয়ে এলে খেজুর গুড় দিয়ে নাড়ুন। একসঙ্গে গুড় দিলে দুধ ফেটে যেতে পারে, তাই গ্যাস বন্ধ করে হালকা গরম অবস্থায় গুড় মেশান।
# আবার চুলায় বসিয়ে অল্প আঁচে কিছুক্ষণ রান্না করুন, যতক্ষণ না দুধ ঘন হয়ে ক্ষীরের রূপ নেয়।
# উপরে কাজু-কিসমিস-বাদাম ছড়িয়ে পরিবেশন করুন।
== পরিবেশন ==
খেজুরের ক্ষীর ঠান্ডা করে পরিবেশন করলে স্বাদ দ্বিগুণ বেড়ে যায়। শীতকালের সকালের নাশতা হোক বা রাতের পর্ব শেষ করার উপায়, এটি উপযুক্ত একটি পদের নিদর্শন।
== পরামর্শ ==
* গুড়ের পরিমাণ স্বাদমতো কমানো বা বাড়ানো যায়। খাঁটি খেজুর গুড় ব্যবহার করলে স্বাদ আরও গভীর হয়।
* দুধ ঘন করে রান্না করাই এই রন্ধনপ্রণালীর মূল চাবিকাঠি, তাই ধৈর্য সহকারে রান্না করুন।
== স্বাস্থ্য উপকারিতা ও ঝুঁকি ==
খেজুরের গুড় আয়রন ও খনিজসমৃদ্ধ হওয়ায় এটি রক্তস্বল্পতার জন্য ভালো। দুধ প্রোটিন ও ক্যালসিয়ামের ভালো উৎস। তবে এই ক্ষীর উচ্চ ক্যালরিযুক্ত হওয়ায় ডায়াবেটিস বা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার প্রয়োজন যাদের আছে, তাদের জন্য এটি সীমিত পরিমাণে খাওয়াই ভালো। মাঝেমধ্যে উৎসবের সময়ে এই ধরনের ঐতিহ্যবাহী মিষ্টান্ন উপভোগ করা শরীর ও মনে সুখের অনুভূতি জাগায়।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:বাংলাদেশি মিষ্টান্ন]]
[[Category:ঐতিহ্যবাহী খাবার]]
[[Category:দুধ-চাল পদ]]
i2qcbb926ntwchl9t70kpvaru4idtpa
84460
84459
2025-06-16T23:30:19Z
Mehedi Abedin
7113
84460
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = মিষ্টান্ন
| পরিবেশন = ৫–৬ জন
| তৈরির সময় = ১ ঘণ্টা
| কষ্টসাধ্য = ৩
| খাদ্য শক্তি = মাঝারি
| টীকা = শীতকালের এক অপূর্ব মিষ্টান্ন যা খেজুরের গুড় দিয়ে রান্না হয় এবং বাংলার ঘরে ঘরে এর স্বাদে মুগ্ধতা ছড়ায়।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''খেজুরের ক্ষীর'''</big></center>
খেজুরের ক্ষীর এমন একটি মিষ্টান্ন যা বাংলার শীতকালীন ঐতিহ্যের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। খেজুরের গুড়ের মোহনীয় সুগন্ধ, ঘন দুধ এবং চালের নরম স্বাদ এই মিষ্টান্নটিকে অসাধারণ এক মাত্রায় পৌঁছে দেয়। সাধারণ দুধ-চাল ক্ষীর থেকে এটি অনেক বেশি সমৃদ্ধ এবং সুস্বাদু হয়।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! নাম !! পরিমাণ
|-
| গরুর দুধ || ২ লিটার
|-
| আতপ চাল || ১/২ কাপ
|-
| খেজুর গুড় || ১ কাপ (স্বাদমতো কম-বেশি করা যায়)
|-
| তেজপাতা || ২টি
|-
| দারুচিনি || ২ টুকরো
|-
| এলাচ || ৩টি
|-
| কাজু, কিশমিশ, বাদাম || ইচ্ছামতো (সাজানোর জন্য)
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# প্রথমে আতপ চাল ধুয়ে ২০ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন।
# দুধ একটি মোটা পাত্রে নিয়ে চুলায় বসান এবং তাতে তেজপাতা, দারুচিনি, এলাচ দিন।
# দুধ ফুটে উঠলে আঁচ কমিয়ে দিন এবং ধীরে ধীরে নাড়তে থাকুন যাতে নিচে লেগে না যায়।
# দুধ কিছুটা ঘন হয়ে এলে চাল ছেড়ে দিন এবং নাড়তে থাকুন।
# চাল সেদ্ধ হয়ে এলে খেজুর গুড় দিয়ে নাড়ুন। একসঙ্গে গুড় দিলে দুধ ফেটে যেতে পারে, তাই গ্যাস বন্ধ করে হালকা গরম অবস্থায় গুড় মেশান।
# আবার চুলায় বসিয়ে অল্প আঁচে কিছুক্ষণ রান্না করুন, যতক্ষণ না দুধ ঘন হয়ে ক্ষীরের রূপ নেয়।
# উপরে কাজু-কিসমিস-বাদাম ছড়িয়ে পরিবেশন করুন।
== পরিবেশন ==
খেজুরের ক্ষীর ঠান্ডা করে পরিবেশন করলে স্বাদ দ্বিগুণ বেড়ে যায়। শীতকালের সকালের নাশতা হোক বা রাতের পর্ব শেষ করার উপায়, এটি উপযুক্ত একটি পদের নিদর্শন।
== পরামর্শ ==
* গুড়ের পরিমাণ স্বাদমতো কমানো বা বাড়ানো যায়। খাঁটি খেজুর গুড় ব্যবহার করলে স্বাদ আরও গভীর হয়।
* দুধ ঘন করে রান্না করাই এই রন্ধনপ্রণালীর মূল চাবিকাঠি, তাই ধৈর্য সহকারে রান্না করুন।
== স্বাস্থ্য উপকারিতা ও ঝুঁকি ==
খেজুরের গুড় আয়রন ও খনিজসমৃদ্ধ হওয়ায় এটি রক্তস্বল্পতার জন্য ভালো। দুধ প্রোটিন ও ক্যালসিয়ামের ভালো উৎস। তবে এই ক্ষীর উচ্চ ক্যালরিযুক্ত হওয়ায় ডায়াবেটিস বা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার প্রয়োজন যাদের আছে, তাদের জন্য এটি সীমিত পরিমাণে খাওয়াই ভালো। মাঝেমধ্যে উৎসবের সময়ে এই ধরনের ঐতিহ্যবাহী মিষ্টান্ন উপভোগ করা শরীর ও মনে সুখের অনুভূতি জাগায়।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:বাংলাদেশি মিষ্টান্ন]]
[[Category:ঐতিহ্যবাহী খাবার]]
[[Category:দুধ-চাল পদ]]
dfhm6v83n45tdcngj18ig9nekekkbyh
84461
84460
2025-06-16T23:31:06Z
Mehedi Abedin
7113
84461
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = মিষ্টান্ন
| পরিবেশন = ৫–৬ জন
| তৈরির সময় = ১ ঘণ্টা
| কষ্টসাধ্য = ৩
| খাদ্য শক্তি = মাঝারি
| টীকা = শীতকালের এক অপূর্ব মিষ্টান্ন যা খেজুরের গুড় দিয়ে রান্না হয় এবং বাংলার ঘরে ঘরে এর স্বাদে মুগ্ধতা ছড়ায়।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''খেজুরের ক্ষীর'''</big></center>
খেজুরের ক্ষীর এমন একটি মিষ্টান্ন যা বাংলার শীতকালীন ঐতিহ্যের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। খেজুরের গুড়ের মোহনীয় সুগন্ধ, ঘন দুধ এবং চালের নরম স্বাদ এই মিষ্টান্নটিকে অসাধারণ এক মাত্রায় পৌঁছে দেয়। সাধারণ দুধ-চাল ক্ষীর থেকে এটি অনেক বেশি সমৃদ্ধ এবং সুস্বাদু হয়।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! নাম !! পরিমাণ
|-
| গরুর দুধ || ২ লিটার
|-
| আতপ চাল || ১/২ কাপ
|-
| খেজুর গুড় || ১ কাপ (স্বাদমতো কম-বেশি করা যায়)
|-
| তেজপাতা || ২টি
|-
| দারুচিনি || ২ টুকরো
|-
| এলাচ || ৩টি
|-
| কাজু, কিশমিশ, বাদাম || ইচ্ছামতো (সাজানোর জন্য)
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# প্রথমে আতপ চাল ধুয়ে ২০ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন।
# দুধ একটি মোটা পাত্রে নিয়ে চুলায় বসান এবং তাতে তেজপাতা, দারুচিনি, এলাচ দিন।
# দুধ ফুটে উঠলে আঁচ কমিয়ে দিন এবং ধীরে ধীরে নাড়তে থাকুন যাতে নিচে লেগে না যায়।
# দুধ কিছুটা ঘন হয়ে এলে চাল ছেড়ে দিন এবং নাড়তে থাকুন।
# চাল সেদ্ধ হয়ে এলে খেজুরের গুড় দিয়ে নাড়ুন। একসঙ্গে গুড় দিলে দুধ ফেটে যেতে পারে, তাই গ্যাস বন্ধ করে হালকা গরম অবস্থায় গুড় মেশান।
# আবার চুলায় বসিয়ে অল্প আঁচে কিছুক্ষণ রান্না করুন, যতক্ষণ না দুধ ঘন হয়ে ক্ষীরের রূপ নেয়।
# উপরে কাজু-কিশমিশ-বাদাম ছড়িয়ে পরিবেশন করুন।
== পরিবেশন ==
খেজুরের ক্ষীর ঠান্ডা করে পরিবেশন করলে স্বাদ দ্বিগুণ বেড়ে যায়। শীতকালের সকালের নাশতা হোক বা রাতের পর্ব শেষ করার উপায়, এটি উপযুক্ত একটি পদের নিদর্শন।
== পরামর্শ ==
* গুড়ের পরিমাণ স্বাদমতো কমানো বা বাড়ানো যায়। খাঁটি খেজুর গুড় ব্যবহার করলে স্বাদ আরও গভীর হয়।
* দুধ ঘন করে রান্না করাই এই রন্ধনপ্রণালীর মূল চাবিকাঠি, তাই ধৈর্য সহকারে রান্না করুন।
== স্বাস্থ্য উপকারিতা ও ঝুঁকি ==
খেজুরের গুড় আয়রন ও খনিজসমৃদ্ধ হওয়ায় এটি রক্তস্বল্পতার জন্য ভালো। দুধ প্রোটিন ও ক্যালসিয়ামের ভালো উৎস। তবে এই ক্ষীর উচ্চ ক্যালরিযুক্ত হওয়ায় ডায়াবেটিস বা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার প্রয়োজন যাদের আছে, তাদের জন্য এটি সীমিত পরিমাণে খাওয়াই ভালো। মাঝেমধ্যে উৎসবের সময়ে এই ধরনের ঐতিহ্যবাহী মিষ্টান্ন উপভোগ করা শরীর ও মনে সুখের অনুভূতি জাগায়।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:বাংলাদেশি মিষ্টান্ন]]
[[Category:ঐতিহ্যবাহী খাবার]]
[[Category:দুধ-চাল পদ]]
qeacm1lxje51nxensqbxlc1e2qxmrdu
84462
84461
2025-06-16T23:31:19Z
Mehedi Abedin
7113
84462
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = মিষ্টান্ন
| পরিবেশন = ৫–৬ জন
| তৈরির সময় = ১ ঘণ্টা
| কষ্টসাধ্য = ৩
| খাদ্য শক্তি = মাঝারি
| টীকা = শীতকালের এক অপূর্ব মিষ্টান্ন যা খেজুরের গুড় দিয়ে রান্না হয় এবং বাংলার ঘরে ঘরে এর স্বাদে মুগ্ধতা ছড়ায়।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''খেজুরের ক্ষীর'''</big></center>
খেজুরের ক্ষীর এমন একটি মিষ্টান্ন যা বাংলার শীতকালীন ঐতিহ্যের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। খেজুরের গুড়ের মোহনীয় সুগন্ধ, ঘন দুধ এবং চালের নরম স্বাদ এই মিষ্টান্নটিকে অসাধারণ এক মাত্রায় পৌঁছে দেয়। সাধারণ দুধ-চাল ক্ষীর থেকে এটি অনেক বেশি সমৃদ্ধ এবং সুস্বাদু হয়।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! নাম !! পরিমাণ
|-
| গরুর দুধ || ২ লিটার
|-
| আতপ চাল || ১/২ কাপ
|-
| খেজুরের গুড় || ১ কাপ (স্বাদমতো কম-বেশি করা যায়)
|-
| তেজপাতা || ২টি
|-
| দারুচিনি || ২ টুকরো
|-
| এলাচ || ৩টি
|-
| কাজু, কিশমিশ, বাদাম || ইচ্ছামতো (সাজানোর জন্য)
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# প্রথমে আতপ চাল ধুয়ে ২০ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন।
# দুধ একটি মোটা পাত্রে নিয়ে চুলায় বসান এবং তাতে তেজপাতা, দারুচিনি, এলাচ দিন।
# দুধ ফুটে উঠলে আঁচ কমিয়ে দিন এবং ধীরে ধীরে নাড়তে থাকুন যাতে নিচে লেগে না যায়।
# দুধ কিছুটা ঘন হয়ে এলে চাল ছেড়ে দিন এবং নাড়তে থাকুন।
# চাল সেদ্ধ হয়ে এলে খেজুরের গুড় দিয়ে নাড়ুন। একসঙ্গে গুড় দিলে দুধ ফেটে যেতে পারে, তাই গ্যাস বন্ধ করে হালকা গরম অবস্থায় গুড় মেশান।
# আবার চুলায় বসিয়ে অল্প আঁচে কিছুক্ষণ রান্না করুন, যতক্ষণ না দুধ ঘন হয়ে ক্ষীরের রূপ নেয়।
# উপরে কাজু-কিশমিশ-বাদাম ছড়িয়ে পরিবেশন করুন।
== পরিবেশন ==
খেজুরের ক্ষীর ঠান্ডা করে পরিবেশন করলে স্বাদ দ্বিগুণ বেড়ে যায়। শীতকালের সকালের নাশতা হোক বা রাতের পর্ব শেষ করার উপায়, এটি উপযুক্ত একটি পদের নিদর্শন।
== পরামর্শ ==
* গুড়ের পরিমাণ স্বাদমতো কমানো বা বাড়ানো যায়। খাঁটি খেজুর গুড় ব্যবহার করলে স্বাদ আরও গভীর হয়।
* দুধ ঘন করে রান্না করাই এই রন্ধনপ্রণালীর মূল চাবিকাঠি, তাই ধৈর্য সহকারে রান্না করুন।
== স্বাস্থ্য উপকারিতা ও ঝুঁকি ==
খেজুরের গুড় আয়রন ও খনিজসমৃদ্ধ হওয়ায় এটি রক্তস্বল্পতার জন্য ভালো। দুধ প্রোটিন ও ক্যালসিয়ামের ভালো উৎস। তবে এই ক্ষীর উচ্চ ক্যালরিযুক্ত হওয়ায় ডায়াবেটিস বা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার প্রয়োজন যাদের আছে, তাদের জন্য এটি সীমিত পরিমাণে খাওয়াই ভালো। মাঝেমধ্যে উৎসবের সময়ে এই ধরনের ঐতিহ্যবাহী মিষ্টান্ন উপভোগ করা শরীর ও মনে সুখের অনুভূতি জাগায়।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:বাংলাদেশি মিষ্টান্ন]]
[[Category:ঐতিহ্যবাহী খাবার]]
[[Category:দুধ-চাল পদ]]
stooib780m24vdunu9rk8m3vx91jlwg
84463
84462
2025-06-16T23:31:51Z
Mehedi Abedin
7113
84463
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = মিষ্টান্ন
| পরিবেশন = ৫–৬ জন
| তৈরির সময় = ১ ঘণ্টা
| কষ্টসাধ্য = ৩
| খাদ্য শক্তি = মাঝারি
| টীকা = শীতকালের এক অপূর্ব মিষ্টান্ন যা খেজুরের গুড় দিয়ে রান্না হয় এবং বাংলার ঘরে ঘরে এর স্বাদে মুগ্ধতা ছড়ায়।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''খেজুরের ক্ষীর'''</big></center>
খেজুরের ক্ষীর এমন একটি মিষ্টান্ন যা বাংলার শীতকালীন ঐতিহ্যের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। খেজুরের গুড়ের মোহনীয় সুগন্ধ, ঘন দুধ এবং চালের নরম স্বাদ এই মিষ্টান্নটিকে অসাধারণ এক মাত্রায় পৌঁছে দেয়। সাধারণ দুধ-চাল ক্ষীর থেকে এটি অনেক বেশি সমৃদ্ধ এবং সুস্বাদু হয়।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! নাম !! পরিমাণ
|-
| গরুর দুধ || ২ লিটার
|-
| আতপ চাল || ১/২ কাপ
|-
| খেজুরের গুড় || ১ কাপ (স্বাদমতো কম-বেশি করা যায়)
|-
| তেজপাতা || ২টি
|-
| দারুচিনি || ২ টুকরো
|-
| এলাচ || ৩টি
|-
| কাজু, কিশমিশ, বাদাম || ইচ্ছামতো (সাজানোর জন্য)
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# প্রথমে আতপ চাল ধুয়ে ২০ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন।
# দুধ একটি মোটা পাত্রে নিয়ে চুলায় বসান এবং তাতে তেজপাতা, দারুচিনি, এলাচ দিন।
# দুধ ফুটে উঠলে আঁচ কমিয়ে দিন এবং ধীরে ধীরে নাড়তে থাকুন যাতে নিচে লেগে না যায়।
# দুধ কিছুটা ঘন হয়ে এলে চাল ছেড়ে দিন এবং নাড়তে থাকুন।
# চাল সেদ্ধ হয়ে এলে খেজুরের গুড় দিয়ে নাড়ুন। একসঙ্গে গুড় দিলে দুধ ফেটে যেতে পারে, তাই গ্যাস বন্ধ করে হালকা গরম অবস্থায় গুড় মেশান।
# আবার চুলায় বসিয়ে অল্প আঁচে কিছুক্ষণ রান্না করুন, যতক্ষণ না দুধ ঘন হয়ে ক্ষীরের রূপ নেয়।
# উপরে কাজু-কিশমিশ-বাদাম ছড়িয়ে পরিবেশন করুন।
== পরিবেশন ==
খেজুরের ক্ষীর ঠান্ডা করে পরিবেশন করলে স্বাদ দ্বিগুণ বেড়ে যায়। শীতকালের সকালের নাশতা হোক বা রাতের পর্ব শেষ করার উপায়, এটি উপযুক্ত একটি পদের নিদর্শন।
== পরামর্শ ==
* গুড়ের পরিমাণ স্বাদমতো কমানো বা বাড়ানো যায়। খাঁটি খেজুরের গুড় ব্যবহার করলে স্বাদ আরও গভীর হয়।
* দুধ ঘন করে রান্না করাই এই রন্ধনপ্রণালীর মূল চাবিকাঠি, তাই ধৈর্য সহকারে রান্না করুন।
== স্বাস্থ্য উপকারিতা ও ঝুঁকি ==
খেজুরের গুড় আয়রন ও খনিজসমৃদ্ধ হওয়ায় এটি রক্তস্বল্পতার জন্য ভালো। দুধ প্রোটিন ও ক্যালসিয়ামের ভালো উৎস। তবে এই ক্ষীর উচ্চ ক্যালরিযুক্ত হওয়ায় ডায়াবেটিস বা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার প্রয়োজন যাদের আছে, তাদের জন্য এটি সীমিত পরিমাণে খাওয়াই ভালো। মাঝেমধ্যে উৎসবের সময়ে এই ধরনের ঐতিহ্যবাহী মিষ্টান্ন উপভোগ করা শরীর ও মনে সুখের অনুভূতি জাগায়।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:বাংলাদেশি মিষ্টান্ন]]
[[Category:ঐতিহ্যবাহী খাবার]]
[[Category:দুধ-চাল পদ]]
8bxg7z8zcsvb68ouawmz0c0so95xebb
84464
84463
2025-06-16T23:32:07Z
Mehedi Abedin
7113
84464
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = মিষ্টান্ন
| পরিবেশন = ৫–৬ জন
| তৈরির সময় = ১ ঘণ্টা
| কষ্টসাধ্য = ৩
| খাদ্য শক্তি = মাঝারি
| টীকা = শীতকালের এক অপূর্ব মিষ্টান্ন যা খেজুরের গুড় দিয়ে রান্না হয় এবং বাংলার ঘরে ঘরে এর স্বাদে মুগ্ধতা ছড়ায়।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''খেজুরের ক্ষীর'''</big></center>
খেজুরের ক্ষীর এমন একটি মিষ্টান্ন যা বাংলার শীতকালীন ঐতিহ্যের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। খেজুরের গুড়ের মোহনীয় সুগন্ধ, ঘন দুধ এবং চালের নরম স্বাদ এই মিষ্টান্নটিকে অসাধারণ এক মাত্রায় পৌঁছে দেয়। সাধারণ দুধ-চাল ক্ষীর থেকে এটি অনেক বেশি সমৃদ্ধ এবং সুস্বাদু হয়।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! নাম !! পরিমাণ
|-
| গরুর দুধ || ২ লিটার
|-
| আতপ চাল || ১/২ কাপ
|-
| খেজুরের গুড় || ১ কাপ (স্বাদমতো কম-বেশি করা যায়)
|-
| তেজপাতা || ২টি
|-
| দারুচিনি || ২ টুকরো
|-
| এলাচ || ৩টি
|-
| কাজু, কিশমিশ, বাদাম || ইচ্ছামতো (সাজানোর জন্য)
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# প্রথমে আতপ চাল ধুয়ে ২০ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন।
# দুধ একটি মোটা পাত্রে নিয়ে চুলায় বসান এবং তাতে তেজপাতা, দারুচিনি, এলাচ দিন।
# দুধ ফুটে উঠলে আঁচ কমিয়ে দিন এবং ধীরে ধীরে নাড়তে থাকুন যাতে নিচে লেগে না যায়।
# দুধ কিছুটা ঘন হয়ে এলে চাল ছেড়ে দিন এবং নাড়তে থাকুন।
# চাল সেদ্ধ হয়ে এলে খেজুরের গুড় দিয়ে নাড়ুন। একসঙ্গে গুড় দিলে দুধ ফেটে যেতে পারে, তাই গ্যাস বন্ধ করে হালকা গরম অবস্থায় গুড় মেশান।
# আবার চুলায় বসিয়ে অল্প আঁচে কিছুক্ষণ রান্না করুন, যতক্ষণ না দুধ ঘন হয়ে ক্ষীরের রূপ নেয়।
# উপরে কাজু-কিশমিশ-বাদাম ছড়িয়ে পরিবেশন করুন।
== পরিবেশন ==
খেজুরের ক্ষীর ঠান্ডা করে পরিবেশন করলে স্বাদ দ্বিগুণ বেড়ে যায়। শীতকালের সকালের নাশতা হোক বা রাতের পর্ব শেষ করার উপায়, এটি উপযুক্ত একটি পদের নিদর্শন।
== পরামর্শ ==
* গুড়ের পরিমাণ স্বাদমতো কমানো বা বাড়ানো যায়। খাঁটি খেজুরের গুড় ব্যবহার করলে স্বাদ আরও গভীর হয়।
* দুধ ঘন করে রান্না করাই এই রন্ধনপ্রণালীর মূল চাবিকাঠি, তাই ধৈর্য সহকারে রান্না করুন।
== স্বাস্থ্য উপকারিতা ও ঝুঁকি ==
খেজুরের গুড় আয়রন ও খনিজসমৃদ্ধ হওয়ায় এটি রক্তস্বল্পতার জন্য ভালো। দুধ প্রোটিন ও ক্যালসিয়ামের ভালো উৎস। তবে এই ক্ষীর উচ্চ ক্যালরিযুক্ত হওয়ায় ডায়াবেটিস বা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার প্রয়োজন যাদের আছে, তাদের জন্য এটি সীমিত পরিমাণে খাওয়াই ভালো।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:বাংলাদেশি মিষ্টান্ন]]
[[Category:ঐতিহ্যবাহী খাবার]]
[[Category:দুধ-চাল পদ]]
6273cf0evs0v1dy05maw16m541lsgp8
84478
84464
2025-06-17T00:21:34Z
Mehedi Abedin
7113
84478
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = মিষ্টান্ন
| পরিবেশন = ৫–৬ জন
| তৈরির সময় = ১ ঘণ্টা
| কষ্টসাধ্য = ৩
| খাদ্য শক্তি = মাঝারি
| টীকা = শীতকালের এক অপূর্ব মিষ্টান্ন যা খেজুরের গুড় দিয়ে রান্না হয় এবং বাংলার ঘরে ঘরে এর স্বাদে মুগ্ধতা ছড়ায়।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''খেজুরের ক্ষীর'''</big></center>
খেজুরের ক্ষীর এমন একটি মিষ্টান্ন যা বাংলার শীতকালীন ঐতিহ্যের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। খেজুরের গুড়ের মোহনীয় সুগন্ধ, ঘন দুধ এবং চালের নরম স্বাদ এই মিষ্টান্নটিকে অসাধারণ এক মাত্রায় পৌঁছে দেয়। সাধারণ দুধ-চাল ক্ষীর থেকে এটি অনেক বেশি সমৃদ্ধ এবং সুস্বাদু হয়।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! নাম !! পরিমাণ
|-
| গরুর দুধ || ২ লিটার
|-
| আতপ চাল || ১/২ কাপ
|-
| খেজুরের গুড় || ১ কাপ (স্বাদমতো কম-বেশি করা যায়)
|-
| তেজপাতা || ২টি
|-
| দারুচিনি || ২ টুকরো
|-
| এলাচ || ৩টি
|-
| কাজু, কিশমিশ, বাদাম || ইচ্ছামতো (সাজানোর জন্য)
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# প্রথমে আতপ চাল ধুয়ে ২০ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন।
# দুধ একটি মোটা পাত্রে নিয়ে চুলায় বসান এবং তাতে তেজপাতা, দারুচিনি, এলাচ দিন।
# দুধ ফুটে উঠলে আঁচ কমিয়ে দিন এবং ধীরে ধীরে নাড়তে থাকুন যাতে নিচে লেগে না যায়।
# দুধ কিছুটা ঘন হয়ে এলে চাল ছেড়ে দিন এবং নাড়তে থাকুন।
# চাল সেদ্ধ হয়ে এলে খেজুরের গুড় দিয়ে নাড়ুন। একসঙ্গে গুড় দিলে দুধ ফেটে যেতে পারে, তাই গ্যাস বন্ধ করে হালকা গরম অবস্থায় গুড় মেশান।
# আবার চুলায় বসিয়ে অল্প আঁচে কিছুক্ষণ রান্না করুন, যতক্ষণ না দুধ ঘন হয়ে ক্ষীরের রূপ নেয়।
# উপরে কাজু-কিশমিশ-বাদাম ছড়িয়ে পরিবেশন করুন।
== পরিবেশন ==
খেজুরের ক্ষীর ঠান্ডা করে পরিবেশন করলে স্বাদ দ্বিগুণ বেড়ে যায়। শীতকালের সকালের নাশতা হোক বা রাতের পর্ব শেষ করার উপায়, এটি উপযুক্ত একটি পদের নিদর্শন।
== পরামর্শ ==
* গুড়ের পরিমাণ স্বাদমতো কমানো বা বাড়ানো যায়। খাঁটি খেজুরের গুড় ব্যবহার করলে স্বাদ আরও গভীর হয়।
* দুধ ঘন করে রান্না করাই এই রন্ধনপ্রণালীর মূল চাবিকাঠি, তাই ধৈর্য সহকারে রান্না করুন।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:বাংলাদেশি মিষ্টান্ন]]
[[Category:ঐতিহ্যবাহী খাবার]]
[[Category:দুধ-চাল পদ]]
hahr13zp9ej8y0dwu01y25mrpqujubc
84479
84478
2025-06-17T00:22:36Z
Mehedi Abedin
7113
84479
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = মিষ্টান্ন
| পরিবেশন = ৫–৬ জন
| তৈরির সময় = ১ ঘণ্টা
| কষ্টসাধ্য = ৩
| খাদ্য শক্তি = মাঝারি
| টীকা = শীতকালের এক অপূর্ব মিষ্টান্ন যা খেজুরের গুড় দিয়ে রান্না হয় এবং বাংলার ঘরে ঘরে এর স্বাদে মুগ্ধতা ছড়ায়।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''খেজুরের ক্ষীর'''</big></center>
খেজুরের ক্ষীর এমন একটি মিষ্টান্ন যা বাংলার শীতকালীন ঐতিহ্যের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। খেজুরের গুড়ের মোহনীয় সুগন্ধ, ঘন দুধ এবং চালের নরম স্বাদ এই মিষ্টান্নটিকে অসাধারণ এক মাত্রায় পৌঁছে দেয়। সাধারণ দুধ-চাল ক্ষীর থেকে এটি অনেক বেশি সমৃদ্ধ এবং সুস্বাদু হয়।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! নাম !! পরিমাণ
|-
| গরুর দুধ || ২ লিটার
|-
| আতপ চাল || ১/২ কাপ
|-
| খেজুরের গুড় || ১ কাপ (স্বাদমতো কম-বেশি করা যায়)
|-
| তেজপাতা || ২টি
|-
| দারুচিনি || ২ টুকরো
|-
| এলাচ || ৩টি
|-
| কাজু, কিশমিশ, বাদাম || ইচ্ছামতো (সাজানোর জন্য)
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# প্রথমে আতপ চাল ধুয়ে ২০ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন।
# দুধ একটি মোটা পাত্রে নিয়ে চুলায় বসান এবং তাতে তেজপাতা, দারুচিনি, এলাচ দিন।
# দুধ ফুটে উঠলে আঁচ কমিয়ে দিন এবং ধীরে ধীরে নাড়তে থাকুন যাতে নিচে লেগে না যায়।
# দুধ কিছুটা ঘন হয়ে এলে চাল ছেড়ে দিন এবং নাড়তে থাকুন।
# চাল সেদ্ধ হয়ে এলে খেজুরের গুড় দিয়ে নাড়ুন। একসঙ্গে গুড় দিলে দুধ ফেটে যেতে পারে, তাই গ্যাস বন্ধ করে হালকা গরম অবস্থায় গুড় মেশান।
# আবার চুলায় বসিয়ে অল্প আঁচে কিছুক্ষণ রান্না করুন, যতক্ষণ না দুধ ঘন হয়ে ক্ষীরের রূপ নেয়।
# উপরে কাজু-কিশমিশ-বাদাম ছড়িয়ে পরিবেশন করুন।
<span style=color:red;><center>'''ঠান্ডা করে পরিবেশন করুন।'''</center></span>
== পরামর্শ ==
* গুড়ের পরিমাণ স্বাদমতো কমানো বা বাড়ানো যায়। খাঁটি খেজুরের গুড় ব্যবহার করলে স্বাদ আরও গভীর হয়।
* দুধ ঘন করে রান্না করাই এই রন্ধনপ্রণালীর মূল চাবিকাঠি, তাই ধৈর্য সহকারে রান্না করুন।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:বাংলাদেশি মিষ্টান্ন]]
[[Category:ঐতিহ্যবাহী খাবার]]
[[Category:দুধ-চাল পদ]]
huve0ab9d954p6nqlxyntg651au2q0y
রন্ধনপ্রণালী:মুড়ি সন্দেশ
104
24860
84465
77986
2025-06-16T23:33:39Z
Mehedi Abedin
7113
84465
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = প্রধান খাবার
| পরিবেশন = ৪ জন
| তৈরির সময় = ২ ঘণ্টা
| কষ্টসাধ্য = ৩
| খাদ্য শক্তি = উচ্চ
| টীকা = মুড়ি ও মিষ্টির চমৎকার মিলনে তৈরি এই সন্দেশ স্থানীয় উৎসব ও শুভ সমারোহে অতুলনীয়। পুষ্টিকর উপাদানসমৃদ্ধ এবং সুস্বাদু হওয়ায় এটি ছোট-বড় সবার প্রিয়।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''মুড়ি সন্দেশ'''</big></center>
মুড়ি সন্দেশ বাংলাদেশের শেরপুর জেলার একটি ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি। এটি মুড়ি ও মিষ্টি দুধ বা ঘন দই দিয়ে তৈরি করা হয়। সুগন্ধি ও স্বাদে ভরপুর এই সন্দেশ এলাকায় বিশেষ উৎসব, বিবাহ বা অন্যান্য আনন্দ অনুষ্ঠানে প্রায়শই পরিবেশন করা হয়। মুড়ির হালকা খাস্তা ভাব ও মিষ্টির মিশ্রণ মুখে গিয়ে একটি অনন্য রসায়ন সৃষ্টি করে।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! উপকরণ !! পরিমাণ
|-
| মুড়ি (ফোলা চাল) || ২ কাপ
|-
| ঘন দুধ বা মিষ্টি দই || ১ কাপ
|-
| চিনি || ১/২ কাপ (স্বাদমতো)
|-
| এলাচ গুঁড়ো || ১ চা চামচ
|-
| কেশর (ঐচ্ছিক) || এক চিমটি
|-
| বাদাম (কাটা) || ১/২ কাপ
|-
| কিশমিশ || ১/৪ কাপ
|-
| ঘি || ২ টেবিল চামচ
|}
== রন্ধন প্রণালী ==
# প্রথমে একটি পাত্রে মুড়ি (ফোলা চাল) মৃদু আঁচে হালকা ভেজে নিন যাতে মুড়ি খানিকটা খাস্তা হয় এবং গন্ধ বের হয়।
# অন্য একটি পাত্রে ঘন দুধ বা মিষ্টি দই নিন, এতে চিনি, এলাচ গুঁড়ো ও কেশর মেশান এবং মাঝারি আঁচে নাড়তে থাকুন যতক্ষণ না মিশ্রণ একটু ঘন হয় এবং মিষ্টির স্বাদ তৈরি হয়।
# এখন ভাজা মুড়ি ধীরে ধীরে দুধের মিশ্রণে মিশিয়ে ভালোভাবে নাড়ুন যাতে মুড়ি নরম হয়ে যায় কিন্তু সম্পূর্ণ গুলে না যায়।
# ঘি গরম করে বাদাম ও কিশমিশ ভেজে নিন এবং মিশ্রণে যোগ করুন।
# পুরো মিশ্রণটি ভালোভাবে মিশিয়ে নিন এবং একটি আকারে ঢেলে ঠাণ্ডা হতে দিন।
# সন্দেশ ঠাণ্ডা হলে টুকরো করে কেটে পরিবেশন করুন।
== স্বাস্থ্যের উপকারিতা ==
মুড়ি সন্দেশ দুধ ও মুড়ির সমন্বয়ে তৈরি হওয়ায় এতে প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট এবং ভিটামিন থাকে যা শরীরের শক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। বাদাম ও কিশমিশ যোগ করার ফলে এটির পুষ্টিমান বেড়ে যায়। তবে এটি মিষ্টি হওয়ায় পরিমাণমতো গ্রহণ করলে ভালো, বেশি খেলে চিনি বেশি হওয়ার কারণে ক্ষতিকর হতে পারে।
== পরামর্শ ==
* মুড়ি ভাজার সময় খুব বেশি না ভাজলে ভালো মচমচে অনুভূতি পাওয়া যায়।
* দুধ মিশ্রণটি ঘন হলে মুড়ি ভালোভাবে মিশবে এবং সন্দেশের গঠন ভালো হয়।
* এলাচ ও কেশর ব্যবহার মিষ্টির স্বাদ ও গন্ধ আরও বাড়িয়ে দেয়।
* ঘি ব্যবহার করলে সন্দেশের স্বাদ ও গুণগত মান উন্নত হয়।
jfc75c5s6ujqhdnjxgpprme4j5lr3da
84466
84465
2025-06-16T23:35:08Z
Mehedi Abedin
7113
84466
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = প্রধান খাবার
| পরিবেশন = ৪ জন
| তৈরির সময় = ২ ঘণ্টা
| কষ্টসাধ্য = ৩
| খাদ্য শক্তি = উচ্চ
| টীকা = মুড়ি ও মিষ্টির চমৎকার মিলনে তৈরি এই সন্দেশ স্থানীয় উৎসব ও শুভ সমারোহে অতুলনীয়। পুষ্টিকর উপাদানসমৃদ্ধ এবং সুস্বাদু হওয়ায় এটি ছোট-বড় সবার প্রিয়।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''মুড়ি সন্দেশ'''</big></center>
মুড়ি সন্দেশ বাংলাদেশের শেরপুর জেলার একটি ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি। এটি মুড়ি ও মিষ্টি দুধ বা ঘন দই দিয়ে তৈরি করা হয়। সুগন্ধি ও স্বাদে ভরপুর এই সন্দেশ এলাকায় বিশেষ উৎসব, বিবাহ বা অন্যান্য আনন্দ অনুষ্ঠানে প্রায়শই পরিবেশন করা হয়। মুড়ির হালকা খাস্তা ভাব ও মিষ্টির মিশ্রণ মুখে গিয়ে একটি অনন্য রসায়ন সৃষ্টি করে।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! উপকরণ !! পরিমাণ
|-
| মুড়ি (ফোলা চাল) || ২ কাপ
|-
| ঘন দুধ বা মিষ্টি দই || ১ কাপ
|-
| চিনি || ১/২ কাপ (স্বাদমতো)
|-
| এলাচ গুঁড়ো || ১ চা চামচ
|-
| কেশর (ঐচ্ছিক) || এক চিমটি
|-
| বাদাম (কাটা) || ১/২ কাপ
|-
| কিশমিশ || ১/৪ কাপ
|-
| ঘি || ২ টেবিল চামচ
|}
== রন্ধন প্রণালী ==
# প্রথমে একটি পাত্রে মুড়ি (ফোলা চাল) মৃদু আঁচে হালকা ভেজে নিন যাতে মুড়ি খানিকটা খাস্তা হয় এবং গন্ধ বের হয়।
# অন্য একটি পাত্রে ঘন দুধ বা মিষ্টি দই নিন, এতে চিনি, এলাচ গুঁড়ো ও কেশর মেশান এবং মাঝারি আঁচে নাড়তে থাকুন যতক্ষণ না মিশ্রণ একটু ঘন হয় এবং মিষ্টির স্বাদ তৈরি হয়।
# এখন ভাজা মুড়ি ধীরে ধীরে দুধের মিশ্রণে মিশিয়ে ভালোভাবে নাড়ুন যাতে মুড়ি নরম হয়ে যায় কিন্তু সম্পূর্ণ গুলে না যায়।
# ঘি গরম করে বাদাম ও কিশমিশ ভেজে নিন এবং মিশ্রণে যোগ করুন।
# পুরো মিশ্রণটি ভালোভাবে মিশিয়ে নিন এবং একটি আকারে ঢেলে ঠাণ্ডা হতে দিন।
# সন্দেশ ঠাণ্ডা হলে টুকরো করে কেটে পরিবেশন করুন।
== স্বাস্থ্যের উপকারিতা ==
মুড়ি সন্দেশ দুধ ও মুড়ির সমন্বয়ে তৈরি হওয়ায় এতে প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট এবং ভিটামিন থাকে যা শরীরের শক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। বাদাম ও কিশমিশ যোগ করার ফলে এটির পুষ্টিমান বেড়ে যায়। তবে এটি মিষ্টি হওয়ায় পরিমাণমতো গ্রহণ করলে ভালো, বেশি খেলে চিনি বেশি হওয়ার কারণে ক্ষতিকর হতে পারে।
== পরামর্শ ==
* মুড়ি ভাজার সময় খুব বেশি না ভাজলে ভালো মচমচে অনুভূতি পাওয়া যায়।
* দুধের মিশ্রণটি ঘন হলে মুড়ি ভালোভাবে মিশবে এবং সন্দেশের গঠন ভালো হয়।
* এলাচ ও কেশর ব্যবহার মিষ্টির স্বাদ ও গন্ধ আরও বাড়িয়ে দেয়।
* ঘি ব্যবহার করলে সন্দেশের স্বাদ ও গুণগত মান উন্নত হয়।
3twlilo6xraj2nxgr4f7c14dukeqt1x
84477
84466
2025-06-17T00:21:06Z
Mehedi Abedin
7113
84477
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = প্রধান খাবার
| পরিবেশন = ৪ জন
| তৈরির সময় = ২ ঘণ্টা
| কষ্টসাধ্য = ৩
| খাদ্য শক্তি = উচ্চ
| টীকা = মুড়ি ও মিষ্টির চমৎকার মিলনে তৈরি এই সন্দেশ স্থানীয় উৎসব ও শুভ সমারোহে অতুলনীয়। পুষ্টিকর উপাদানসমৃদ্ধ এবং সুস্বাদু হওয়ায় এটি ছোট-বড় সবার প্রিয়।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''মুড়ি সন্দেশ'''</big></center>
মুড়ি সন্দেশ বাংলাদেশের শেরপুর জেলার একটি ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি। এটি মুড়ি ও মিষ্টি দুধ বা ঘন দই দিয়ে তৈরি করা হয়। সুগন্ধি ও স্বাদে ভরপুর এই সন্দেশ এলাকায় বিশেষ উৎসব, বিবাহ বা অন্যান্য আনন্দ অনুষ্ঠানে প্রায়শই পরিবেশন করা হয়। মুড়ির হালকা খাস্তা ভাব ও মিষ্টির মিশ্রণ মুখে গিয়ে একটি অনন্য রসায়ন সৃষ্টি করে।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! উপকরণ !! পরিমাণ
|-
| মুড়ি (ফোলা চাল) || ২ কাপ
|-
| ঘন দুধ বা মিষ্টি দই || ১ কাপ
|-
| চিনি || ১/২ কাপ (স্বাদমতো)
|-
| এলাচ গুঁড়ো || ১ চা চামচ
|-
| কেশর (ঐচ্ছিক) || এক চিমটি
|-
| বাদাম (কাটা) || ১/২ কাপ
|-
| কিশমিশ || ১/৪ কাপ
|-
| ঘি || ২ টেবিল চামচ
|}
== রন্ধন প্রণালী ==
# প্রথমে একটি পাত্রে মুড়ি (ফোলা চাল) মৃদু আঁচে হালকা ভেজে নিন যাতে মুড়ি খানিকটা খাস্তা হয় এবং গন্ধ বের হয়।
# অন্য একটি পাত্রে ঘন দুধ বা মিষ্টি দই নিন, এতে চিনি, এলাচ গুঁড়ো ও কেশর মেশান এবং মাঝারি আঁচে নাড়তে থাকুন যতক্ষণ না মিশ্রণ একটু ঘন হয় এবং মিষ্টির স্বাদ তৈরি হয়।
# এখন ভাজা মুড়ি ধীরে ধীরে দুধের মিশ্রণে মিশিয়ে ভালোভাবে নাড়ুন যাতে মুড়ি নরম হয়ে যায় কিন্তু সম্পূর্ণ গুলে না যায়।
# ঘি গরম করে বাদাম ও কিশমিশ ভেজে নিন এবং মিশ্রণে যোগ করুন।
# পুরো মিশ্রণটি ভালোভাবে মিশিয়ে নিন এবং একটি আকারে ঢেলে ঠাণ্ডা হতে দিন।
# সন্দেশ ঠাণ্ডা হলে টুকরো করে কেটে পরিবেশন করুন।
== পরামর্শ ==
* মুড়ি ভাজার সময় খুব বেশি না ভাজলে ভালো মচমচে অনুভূতি পাওয়া যায়।
* দুধের মিশ্রণটি ঘন হলে মুড়ি ভালোভাবে মিশবে এবং সন্দেশের গঠন ভালো হয়।
* এলাচ ও কেশর ব্যবহার মিষ্টির স্বাদ ও গন্ধ আরও বাড়িয়ে দেয়।
* ঘি ব্যবহার করলে সন্দেশের স্বাদ ও গুণগত মান উন্নত হয়।
srerfvsvjcjq4jv2kcjx13tfidtc9oq
রন্ধনপ্রণালী:তেলি হাঁস ভুনা
104
24864
84467
78170
2025-06-16T23:38:38Z
Mehedi Abedin
7113
84467
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = মূল খাবার
| পরিবেশন = ৫ জন
| তৈরির সময় = ১ ঘণ্টা ৩০ মিনিট
| কষ্টসাধ্য = ৩
| খাদ্য শক্তি = উচ্চ
| টীকা = ঘরোয়া ও বিশেষ স্বাদের মাংসের পদ। এটি সাধারণত দেশি হাঁস, সরিষার তেল ও নানা মসলা দিয়ে ধীরে ধীরে রান্না করা হয়।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''তেলি হাঁস ভুনা'''</big></center>
তেলি হাঁস ভুনা জামালপুর ও শেরপুর অঞ্চলে বিশেষভাবে জনপ্রিয়। এই রান্নার স্বাদ ও ঘ্রাণ অন্য যেকোনো হাঁসের তরকারির চেয়ে আলাদা, কারণ এতে ব্যবহৃত হয় সরিষার তেল ও বাড়িতে তৈরি মসলা। এটি সাধারণত অতিথি আপ্যায়নে বা উৎসব-অনুষ্ঠানে পরিবেশন করা হয়।
==উপকরণ==
{| class="wikitable"
! উপাদান !! পরিমাণ
|-
| দেশি হাঁস (কাটা) || ১টি (প্রায় ১.৫ কেজি)
|-
| সরিষার তেল || ১ কাপ
|-
| পেঁয়াজ কুচি || ২ কাপ
|-
| রসুন বাটা || ২ চা চামচ
|-
| আদা বাটা || ২ চা চামচ
|-
| শুকনা মরিচ গুঁড়ো || ২ চা চামচ
|-
| হলুদ গুঁড়ো || ১ চা চামচ
|-
| জিরা গুঁড়ো || ১ চা চামচ
|-
| দারচিনি, এলাচ, লবঙ্গ || সামান্য
|-
| লবণ || স্বাদমতো
|-
| পানি || পরিমাণমতো
|}
==প্রস্তুত প্রণালী==
# প্রথমে হাঁস ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিন। হাঁসের চামড়া ও অতিরিক্ত চর্বি সরিয়ে কেটে রাখুন। হাঁসের টুকরাগুলো লবণ, হলুদ, শুকনা মরিচ ও একটু সরিষার তেল দিয়ে মেখে কিছুক্ষণ রেখে দিন।
# একটি ভারী মুখবন্ধ হাঁড়িতে সরিষার তেল গরম করে দারচিনি, এলাচ, লবঙ্গ ফোড়ন দিন। এরপর পেঁয়াজ কুচি দিয়ে হালকা বাদামি করে ভাজুন। এরপর আদা ও রসুন বাটা দিয়ে কিছুক্ষণ নাড়ুন। সব মসলা কষিয়ে হাঁসের টুকরাগুলো দিয়ে দিন এবং ভালোভাবে নাড়ুন।
# মাঝারি আঁচে ঢেকে রেখে মাঝে মাঝে নাড়তে থাকুন, যাতে হাঁসের চর্বি বের হয়ে আসে এবং মসলা মিশে গিয়ে ঘন হয়ে যায়। পানির প্রয়োজন হলে অল্প অল্প করে দিন, তবে হাঁস নরম হওয়া পর্যন্ত রান্না চালিয়ে যান।
# সবশেষে যখন তেল উপরে উঠে আসবে এবং মাংস পুরোপুরি কষানো হবে, তখন চুলা বন্ধ করে দিন।
==পরিবেশন==
এই পদটি গরম গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন। খিচুড়ি বা পোলাওয়ের সঙ্গেও এটি দারুণভাবে মানিয়ে যায়।
d8so9ndmkp1qzajrmxwq695ly7011ft
84468
84467
2025-06-16T23:39:03Z
Mehedi Abedin
7113
84468
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = মূল খাবার
| পরিবেশন = ৫ জন
| তৈরির সময় = ১ ঘণ্টা ৩০ মিনিট
| কষ্টসাধ্য = ৩
| খাদ্য শক্তি = উচ্চ
| টীকা = ঘরোয়া ও বিশেষ স্বাদের মাংসের পদ। এটি সাধারণত দেশি হাঁস, সরিষার তেল ও নানা মসলা দিয়ে ধীরে ধীরে রান্না করা হয়।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''তেলি হাঁস ভুনা'''</big></center>
তেলি হাঁস ভুনা জামালপুর ও শেরপুর অঞ্চলে বিশেষভাবে জনপ্রিয়। এই রান্নার স্বাদ ও ঘ্রাণ অন্য যেকোনো হাঁসের তরকারির চেয়ে আলাদা, কারণ এতে ব্যবহৃত হয় সরিষার তেল ও বাড়িতে তৈরি মসলা। এটি সাধারণত অতিথি আপ্যায়নে বা উৎসব-অনুষ্ঠানে পরিবেশন করা হয়।
==উপকরণ==
{| class="wikitable"
! উপাদান !! পরিমাণ
|-
| দেশি হাঁস (কাটা) || ১টি (প্রায় ১.৫ কেজি)
|-
| সরিষার তেল || ১ কাপ
|-
| পেঁয়াজ কুচি || ২ কাপ
|-
| রসুন বাটা || ২ চা চামচ
|-
| আদা বাটা || ২ চা চামচ
|-
| শুকনা মরিচ গুঁড়ো || ২ চা চামচ
|-
| হলুদ গুঁড়ো || ১ চা চামচ
|-
| জিরা গুঁড়ো || ১ চা চামচ
|-
| দারুচিনি, এলাচ, লবঙ্গ || সামান্য
|-
| লবণ || স্বাদমতো
|-
| পানি || পরিমাণমতো
|}
==প্রস্তুত প্রণালী==
# প্রথমে হাঁস ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিন। হাঁসের চামড়া ও অতিরিক্ত চর্বি সরিয়ে কেটে রাখুন। হাঁসের টুকরাগুলো লবণ, হলুদ, শুকনা মরিচ ও একটু সরিষার তেল দিয়ে মেখে কিছুক্ষণ রেখে দিন।
# একটি ভারী মুখবন্ধ হাঁড়িতে সরিষার তেল গরম করে দারচিনি, এলাচ, লবঙ্গ ফোড়ন দিন। এরপর পেঁয়াজ কুচি দিয়ে হালকা বাদামি করে ভাজুন। এরপর আদা ও রসুন বাটা দিয়ে কিছুক্ষণ নাড়ুন। সব মসলা কষিয়ে হাঁসের টুকরাগুলো দিয়ে দিন এবং ভালোভাবে নাড়ুন।
# মাঝারি আঁচে ঢেকে রেখে মাঝে মাঝে নাড়তে থাকুন, যাতে হাঁসের চর্বি বের হয়ে আসে এবং মসলা মিশে গিয়ে ঘন হয়ে যায়। পানির প্রয়োজন হলে অল্প অল্প করে দিন, তবে হাঁস নরম হওয়া পর্যন্ত রান্না চালিয়ে যান।
# সবশেষে যখন তেল উপরে উঠে আসবে এবং মাংস পুরোপুরি কষানো হবে, তখন চুলা বন্ধ করে দিন।
==পরিবেশন==
এই পদটি গরম গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন। খিচুড়ি বা পোলাওয়ের সঙ্গেও এটি দারুণভাবে মানিয়ে যায়।
i4mcmujqh1y1mh9s2hzx1ipfork44lk
84469
84468
2025-06-16T23:39:34Z
Mehedi Abedin
7113
84469
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = মূল খাবার
| পরিবেশন = ৫ জন
| তৈরির সময় = ১ ঘণ্টা ৩০ মিনিট
| কষ্টসাধ্য = ৩
| খাদ্য শক্তি = উচ্চ
| টীকা = ঘরোয়া ও বিশেষ স্বাদের মাংসের পদ। এটি সাধারণত দেশি হাঁস, সরিষার তেল ও নানা মসলা দিয়ে ধীরে ধীরে রান্না করা হয়।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''তেলি হাঁস ভুনা'''</big></center>
তেলি হাঁস ভুনা জামালপুর ও শেরপুর অঞ্চলে বিশেষভাবে জনপ্রিয়। এই রান্নার স্বাদ ও ঘ্রাণ অন্য যেকোনো হাঁসের তরকারির চেয়ে আলাদা, কারণ এতে ব্যবহৃত হয় সরিষার তেল ও বাড়িতে তৈরি মসলা। এটি সাধারণত অতিথি আপ্যায়নে বা উৎসব-অনুষ্ঠানে পরিবেশন করা হয়।
==উপকরণ==
{| class="wikitable"
! উপাদান !! পরিমাণ
|-
| দেশি হাঁস (কাটা) || ১টি (প্রায় ১.৫ কেজি)
|-
| সরিষার তেল || ১ কাপ
|-
| পেঁয়াজ কুচি || ২ কাপ
|-
| রসুন বাটা || ২ চা চামচ
|-
| আদা বাটা || ২ চা চামচ
|-
| শুকনা মরিচ গুঁড়ো || ২ চা চামচ
|-
| হলুদ গুঁড়ো || ১ চা চামচ
|-
| জিরা গুঁড়ো || ১ চা চামচ
|-
| দারুচিনি, এলাচ, লবঙ্গ || সামান্য
|-
| লবণ || স্বাদমতো
|-
| পানি || পরিমাণমতো
|}
==প্রস্তুত প্রণালী==
# প্রথমে হাঁস ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিন। হাঁসের চামড়া ও অতিরিক্ত চর্বি সরিয়ে কেটে রাখুন। হাঁসের টুকরাগুলো লবণ, হলুদ, শুকনা মরিচ ও একটু সরিষার তেল দিয়ে মেখে কিছুক্ষণ রেখে দিন।
# একটি ভারী মুখবন্ধ হাঁড়িতে সরিষার তেল গরম করে দারুচিনি, এলাচ, লবঙ্গ ফোড়ন দিন। এরপর পেঁয়াজ কুচি দিয়ে হালকা বাদামি করে ভাজুন। এরপর আদা ও রসুন বাটা দিয়ে কিছুক্ষণ নাড়ুন। সব মসলা কষিয়ে হাঁসের টুকরাগুলো দিয়ে দিন এবং ভালোভাবে নাড়ুন।
# মাঝারি আঁচে ঢেকে রেখে মাঝে মাঝে নাড়তে থাকুন, যাতে হাঁসের চর্বি বের হয়ে আসে এবং মসলা মিশে গিয়ে ঘন হয়ে যায়। পানির প্রয়োজন হলে অল্প অল্প করে দিন, তবে হাঁস নরম হওয়া পর্যন্ত রান্না চালিয়ে যান।
# সবশেষে যখন তেল উপরে উঠে আসবে এবং মাংস পুরোপুরি কষানো হবে, তখন চুলা বন্ধ করে দিন।
==পরিবেশন==
এই পদটি গরম গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন। খিচুড়ি বা পোলাওয়ের সঙ্গেও এটি দারুণভাবে মানিয়ে যায়।
ttnnszkbd8rx6abiy6wiambwfnmcfiy
84476
84469
2025-06-17T00:04:11Z
Mehedi Abedin
7113
84476
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = মূল খাবার
| পরিবেশন = ৫ জন
| তৈরির সময় = ১ ঘণ্টা ৩০ মিনিট
| কষ্টসাধ্য = ৩
| খাদ্য শক্তি = উচ্চ
| টীকা = ঘরোয়া ও বিশেষ স্বাদের মাংসের পদ। এটি সাধারণত দেশি হাঁস, সরিষার তেল ও নানা মসলা দিয়ে ধীরে ধীরে রান্না করা হয়।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''তেলি হাঁস ভুনা'''</big></center>
তেলি হাঁস ভুনা জামালপুর ও শেরপুর অঞ্চলে বিশেষভাবে জনপ্রিয়। এই রান্নার স্বাদ ও ঘ্রাণ অন্য যেকোনো হাঁসের তরকারির চেয়ে আলাদা, কারণ এতে ব্যবহৃত হয় সরিষার তেল ও বাড়িতে তৈরি মসলা। এটি সাধারণত অতিথি আপ্যায়নে বা উৎসব-অনুষ্ঠানে পরিবেশন করা হয়।
==উপকরণ==
{| class="wikitable"
! উপাদান !! পরিমাণ
|-
| দেশি হাঁস (কাটা) || ১টি (প্রায় ১.৫ কেজি)
|-
| সরিষার তেল || ১ কাপ
|-
| পেঁয়াজ কুচি || ২ কাপ
|-
| রসুন বাটা || ২ চা চামচ
|-
| আদা বাটা || ২ চা চামচ
|-
| শুকনা মরিচ গুঁড়ো || ২ চা চামচ
|-
| হলুদ গুঁড়ো || ১ চা চামচ
|-
| জিরা গুঁড়ো || ১ চা চামচ
|-
| দারুচিনি, এলাচ, লবঙ্গ || সামান্য
|-
| লবণ || স্বাদমতো
|-
| পানি || পরিমাণমতো
|}
==প্রস্তুত প্রণালী==
# প্রথমে হাঁস ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিন। হাঁসের চামড়া ও অতিরিক্ত চর্বি সরিয়ে কেটে রাখুন। হাঁসের টুকরাগুলো লবণ, হলুদ, শুকনা মরিচ ও একটু সরিষার তেল দিয়ে মেখে কিছুক্ষণ রেখে দিন।
# একটি ভারী মুখবন্ধ হাঁড়িতে সরিষার তেল গরম করে দারুচিনি, এলাচ, লবঙ্গ ফোড়ন দিন। এরপর পেঁয়াজ কুচি দিয়ে হালকা বাদামি করে ভাজুন। এরপর আদা ও রসুন বাটা দিয়ে কিছুক্ষণ নাড়ুন। সব মসলা কষিয়ে হাঁসের টুকরাগুলো দিয়ে দিন এবং ভালোভাবে নাড়ুন।
# মাঝারি আঁচে ঢেকে রেখে মাঝে মাঝে নাড়তে থাকুন, যাতে হাঁসের চর্বি বের হয়ে আসে এবং মসলা মিশে গিয়ে ঘন হয়ে যায়। পানির প্রয়োজন হলে অল্প অল্প করে দিন, তবে হাঁস নরম হওয়া পর্যন্ত রান্না চালিয়ে যান।
# সবশেষে যখন তেল উপরে উঠে আসবে এবং মাংস পুরোপুরি কষানো হবে, তখন চুলা বন্ধ করে দিন।
<span style=color:red;><center>'''গরম গরম ভাত কিংবা খিচুড়ি বা পোলাওয়ের সঙ্গে পরিবেশন করুন।'''</center></span>
3i4tizut120n7jnrv6zw6zqg59k1264
রন্ধনপ্রণালী:ধোকলা
104
24866
84470
77988
2025-06-16T23:40:57Z
Mehedi Abedin
7113
84470
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = জলখাবার
| পরিবেশন = ৪ জন
| তৈরির সময় = ৪৫ মিনিট
| কষ্টসাধ্য = ৩
| খাদ্য শক্তি = উচ্চ
| টীকা = ভারতের গুজরাত অঞ্চলের জনপ্রিয় নাস্তা, যা মসলা ও ময়দার মিশ্রণে ভাজা হয়। এটি চা অথবা অন্য কোন পানীয়ের সাথে বিশেষ উপভোগ্য।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''ধোকলা'''</big></center>
ধোকলা হলো গুজরাটের একটি জনপ্রিয় জলখাবার যা সেদ্ধ ময়দা এবং চানা ডালের মিশ্রণ দিয়ে তৈরি। এর নরম ও মসলা ভরা স্বাদ সকল বয়সের মানুষের কাছে প্রিয়। সাধারণত সন্ধ্যার নাস্তায় বা উৎসব ও বর্ণিল অনুষ্ঠানে ধোকলা অত্যন্ত সমাদৃত।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! নাম !! পরিমাণ
|-
| ছোলা ডাল (চানা ডাল) || ১ কাপ
|-
| সাদা ময়দা || ১/২ কাপ
|-
| দই || ১/২ কাপ
|-
| হরি মরি (কাঁচা মরিচ) || ২টি
|-
| আদা || ১ ইঞ্চি টুকরো
|-
| নিম্বুর রস || ১ টেবিল চামচ
|-
| ইলাচি গুঁড়ো || ১/২ চা চামচ
|-
| বেকিং সোডা || ১ চা চামচ
|-
| তেল || ২ টেবিল চামচ
|-
| সরিষার বীজ || ১ চা চামচ
|-
| কাঁচা ধনে পাতা (কুচানো) || ২ টেবিল চামচ
|-
| লবণ || স্বাদমতো
|-
| জল || ১ কাপ (মিশ্রণ তৈরির জন্য)
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# ছোলা ডাল ভালো করে ধুয়ে রাতে ভিজিয়ে রাখুন।
# ভিজানো ডাল ও ময়দা, দই, কাঁচা মরিচ, আদা, নিম্বুর রস, ইলাচি গুঁড়ো ও লবণ দিয়ে ব্লেন্ডারে মিহি পেস্ট তৈরি করুন।
# মিশ্রণটি একটি বড় পাত্রে নিয়ে ৪ থেকে ৫ ঘণ্টা অথবা সারা রাত রেখে মজতে দিন।
# মজানো হয়ে গেলে মিশ্রণে বেকিং সোডা মেশান এবং দ্রুত নাড়ুন।
# একটি পাত্রে জল ঢেলে তার উপরে বাষ্প তৈরি করার জন্য ধোঁয়া দিন।
# একটি ঢাকনা-বদ্ধ পাত্রে সামান্য তেল মেখে মিশ্রণ ঢেলে বাষ্পে ২০-২৫ মিনিট সিদ্ধ করুন।
# সিদ্ধ হয়ে গেলে ঠান্ডা হতে দিন, তারপর পাত্র থেকে বের করে বড়া বড় টুকরো করে কেটে নিন।
# অন্য একটি প্যানে তেল গরম করে সরিষার বীজ ফোটান, তারপর এটি ধোকলার উপরে ঢেলে দিন।
# কুচানো ধনে পাতা ছড়িয়ে পরিবেশন করুন।
== পরিবেশন ==
ধোকলা সাধারণত হালকা নাস্তার হিসেবে পরিবেশন করা হয়। এটি সবসময় চা বা অন্যান্য পানীয়ের সঙ্গে দারুণ মানিয়ে যায়।
== পরামর্শ ==
* মজানো ভালো না হলে ধোকলা ফুলে উঠবে না, তাই সময় দিন মজানোর জন্য।
* বেকিং সোডা পরিমাণমতো ব্যবহার করুন, বেশি দিলে ধোকলা টক হয়ে যেতে পারে।
== স্বাস্থ্য উপকারিতা ও ঝুঁকি ==
ছোলা ডাল প্রোটিন ও ফাইবার সমৃদ্ধ যা পেটের জন্য ভালো। ধোকলা তৈরিতে তেল খুব কম ব্যবহার হয়, তাই এটি স্বাস্থ্যকর একটি নাস্তা। তবে বেকিং সোডার অতিরিক্ত ব্যবহার ক্ষতিকর হতে পারে, তাই সাবধানতা দরকার।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:ভারতীয় নাস্তা]]
[[Category:ঐতিহ্যবাহী খাবার]]
[[Category:মসলা ব্যবহারিক রেসিপি]]
4m85pvxo2xfkbtsbz00nshk2ijiojyl
84471
84470
2025-06-16T23:41:20Z
Mehedi Abedin
7113
84471
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = জলখাবার
| পরিবেশন = ৪ জন
| তৈরির সময় = ৪৫ মিনিট
| কষ্টসাধ্য = ৩
| খাদ্য শক্তি = উচ্চ
| টীকা = ভারতের গুজরাত অঞ্চলের জনপ্রিয় নাস্তা, যা মসলা ও ময়দার মিশ্রণে ভাজা হয়। এটি চা অথবা অন্য কোন পানীয়ের সাথে বিশেষ উপভোগ্য।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''ধোকলা'''</big></center>
ধোকলা হলো গুজরাটের একটি জনপ্রিয় জলখাবার যা সেদ্ধ ময়দা এবং চানা ডালের মিশ্রণ দিয়ে তৈরি। এর নরম ও মসলা ভরা স্বাদ সকল বয়সের মানুষের কাছে প্রিয়। সাধারণত সন্ধ্যার নাস্তায় বা উৎসব ও বর্ণিল অনুষ্ঠানে ধোকলা অত্যন্ত সমাদৃত।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! নাম !! পরিমাণ
|-
| ছোলা ডাল (চানা ডাল) || ১ কাপ
|-
| সাদা ময়দা || ১/২ কাপ
|-
| দই || ১/২ কাপ
|-
| হরি মরি (কাঁচা মরিচ) || ২টি
|-
| আদা || ১ ইঞ্চি টুকরো
|-
| নিম্বুর রস || ১ টেবিল চামচ
|-
| এলাচি গুঁড়ো || ১/২ চা চামচ
|-
| বেকিং সোডা || ১ চা চামচ
|-
| তেল || ২ টেবিল চামচ
|-
| সরিষার বীজ || ১ চা চামচ
|-
| কাঁচা ধনে পাতা (কুচানো) || ২ টেবিল চামচ
|-
| লবণ || স্বাদমতো
|-
| জল || ১ কাপ (মিশ্রণ তৈরির জন্য)
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# ছোলা ডাল ভালো করে ধুয়ে রাতে ভিজিয়ে রাখুন।
# ভিজানো ডাল ও ময়দা, দই, কাঁচা মরিচ, আদা, নিম্বুর রস, ইলাচি গুঁড়ো ও লবণ দিয়ে ব্লেন্ডারে মিহি পেস্ট তৈরি করুন।
# মিশ্রণটি একটি বড় পাত্রে নিয়ে ৪ থেকে ৫ ঘণ্টা অথবা সারা রাত রেখে মজতে দিন।
# মজানো হয়ে গেলে মিশ্রণে বেকিং সোডা মেশান এবং দ্রুত নাড়ুন।
# একটি পাত্রে জল ঢেলে তার উপরে বাষ্প তৈরি করার জন্য ধোঁয়া দিন।
# একটি ঢাকনা-বদ্ধ পাত্রে সামান্য তেল মেখে মিশ্রণ ঢেলে বাষ্পে ২০-২৫ মিনিট সিদ্ধ করুন।
# সিদ্ধ হয়ে গেলে ঠান্ডা হতে দিন, তারপর পাত্র থেকে বের করে বড়া বড় টুকরো করে কেটে নিন।
# অন্য একটি প্যানে তেল গরম করে সরিষার বীজ ফোটান, তারপর এটি ধোকলার উপরে ঢেলে দিন।
# কুচানো ধনে পাতা ছড়িয়ে পরিবেশন করুন।
== পরিবেশন ==
ধোকলা সাধারণত হালকা নাস্তার হিসেবে পরিবেশন করা হয়। এটি সবসময় চা বা অন্যান্য পানীয়ের সঙ্গে দারুণ মানিয়ে যায়।
== পরামর্শ ==
* মজানো ভালো না হলে ধোকলা ফুলে উঠবে না, তাই সময় দিন মজানোর জন্য।
* বেকিং সোডা পরিমাণমতো ব্যবহার করুন, বেশি দিলে ধোকলা টক হয়ে যেতে পারে।
== স্বাস্থ্য উপকারিতা ও ঝুঁকি ==
ছোলা ডাল প্রোটিন ও ফাইবার সমৃদ্ধ যা পেটের জন্য ভালো। ধোকলা তৈরিতে তেল খুব কম ব্যবহার হয়, তাই এটি স্বাস্থ্যকর একটি নাস্তা। তবে বেকিং সোডার অতিরিক্ত ব্যবহার ক্ষতিকর হতে পারে, তাই সাবধানতা দরকার।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:ভারতীয় নাস্তা]]
[[Category:ঐতিহ্যবাহী খাবার]]
[[Category:মসলা ব্যবহারিক রেসিপি]]
2e4lmyiklp8h78dexq220ini271sdk3
84472
84471
2025-06-16T23:42:40Z
Mehedi Abedin
7113
84472
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = জলখাবার
| পরিবেশন = ৪ জন
| তৈরির সময় = ৪৫ মিনিট
| কষ্টসাধ্য = ৩
| খাদ্য শক্তি = উচ্চ
| টীকা = ভারতের গুজরাত অঞ্চলের জনপ্রিয় নাস্তা, যা মসলা ও ময়দার মিশ্রণে ভাজা হয়। এটি চা অথবা অন্য কোন পানীয়ের সাথে বিশেষ উপভোগ্য।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''ধোকলা'''</big></center>
ধোকলা হলো গুজরাতের একটি জনপ্রিয় জলখাবার যা সেদ্ধ ময়দা এবং চানা ডালের মিশ্রণ দিয়ে তৈরি। এর নরম ও মসলা ভরা স্বাদ সকল বয়সের মানুষের কাছে প্রিয়। সাধারণত সন্ধ্যার নাস্তায় বা উৎসব ও বর্ণিল অনুষ্ঠানে ধোকলা অত্যন্ত সমাদৃত।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! নাম !! পরিমাণ
|-
| ছোলা ডাল (চানা ডাল) || ১ কাপ
|-
| সাদা ময়দা || ১/২ কাপ
|-
| দই || ১/২ কাপ
|-
| হরি মরি (কাঁচা মরিচ) || ২টি
|-
| আদা || ১ ইঞ্চি টুকরো
|-
| নিম্বুর রস || ১ টেবিল চামচ
|-
| এলাচি গুঁড়ো || ১/২ চা চামচ
|-
| বেকিং সোডা || ১ চা চামচ
|-
| তেল || ২ টেবিল চামচ
|-
| সরিষার বীজ || ১ চা চামচ
|-
| কাঁচা ধনে পাতা (কুচানো) || ২ টেবিল চামচ
|-
| লবণ || স্বাদমতো
|-
| জল || ১ কাপ (মিশ্রণ তৈরির জন্য)
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# ছোলা ডাল ভালো করে ধুয়ে রাতে ভিজিয়ে রাখুন।
# ভিজানো ডাল ও ময়দা, দই, কাঁচা মরিচ, আদা, নিম্বুর রস, ইলাচি গুঁড়ো ও লবণ দিয়ে ব্লেন্ডারে মিহি পেস্ট তৈরি করুন।
# মিশ্রণটি একটি বড় পাত্রে নিয়ে ৪ থেকে ৫ ঘণ্টা অথবা সারা রাত রেখে মজতে দিন।
# মজানো হয়ে গেলে মিশ্রণে বেকিং সোডা মেশান এবং দ্রুত নাড়ুন।
# একটি পাত্রে জল ঢেলে তার উপরে বাষ্প তৈরি করার জন্য ধোঁয়া দিন।
# একটি ঢাকনা-বদ্ধ পাত্রে সামান্য তেল মেখে মিশ্রণ ঢেলে বাষ্পে ২০-২৫ মিনিট সিদ্ধ করুন।
# সিদ্ধ হয়ে গেলে ঠান্ডা হতে দিন, তারপর পাত্র থেকে বের করে বড়া বড় টুকরো করে কেটে নিন।
# অন্য একটি প্যানে তেল গরম করে সরিষার বীজ ফোটান, তারপর এটি ধোকলার উপরে ঢেলে দিন।
# কুচানো ধনে পাতা ছড়িয়ে পরিবেশন করুন।
== পরিবেশন ==
ধোকলা সাধারণত হালকা নাস্তার হিসেবে পরিবেশন করা হয়। এটি সবসময় চা বা অন্যান্য পানীয়ের সঙ্গে দারুণ মানিয়ে যায়।
== পরামর্শ ==
* মজানো ভালো না হলে ধোকলা ফুলে উঠবে না, তাই সময় দিন মজানোর জন্য।
* বেকিং সোডা পরিমাণমতো ব্যবহার করুন, বেশি দিলে ধোকলা টক হয়ে যেতে পারে।
== স্বাস্থ্য উপকারিতা ও ঝুঁকি ==
ছোলা ডাল প্রোটিন ও ফাইবার সমৃদ্ধ যা পেটের জন্য ভালো। ধোকলা তৈরিতে তেল খুব কম ব্যবহার হয়, তাই এটি স্বাস্থ্যকর একটি নাস্তা। তবে বেকিং সোডার অতিরিক্ত ব্যবহার ক্ষতিকর হতে পারে, তাই সাবধানতা দরকার।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:ভারতীয় নাস্তা]]
[[Category:ঐতিহ্যবাহী খাবার]]
[[Category:মসলা ব্যবহারিক রেসিপি]]
pyr73nxloe9vh3u6qwk7qe3b5jrzh0s
84474
84472
2025-06-17T00:02:20Z
Mehedi Abedin
7113
84474
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = জলখাবার
| পরিবেশন = ৪ জন
| তৈরির সময় = ৪৫ মিনিট
| কষ্টসাধ্য = ৩
| খাদ্য শক্তি = উচ্চ
| টীকা = ভারতের গুজরাত অঞ্চলের জনপ্রিয় নাস্তা, যা মসলা ও ময়দার মিশ্রণে ভাজা হয়। এটি চা অথবা অন্য কোন পানীয়ের সাথে বিশেষ উপভোগ্য।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''ধোকলা'''</big></center>
ধোকলা হলো গুজরাতের একটি জনপ্রিয় জলখাবার যা সেদ্ধ ময়দা এবং চানা ডালের মিশ্রণ দিয়ে তৈরি। এর নরম ও মসলা ভরা স্বাদ সকল বয়সের মানুষের কাছে প্রিয়। সাধারণত সন্ধ্যার নাস্তায় বা উৎসব ও বর্ণিল অনুষ্ঠানে ধোকলা অত্যন্ত সমাদৃত।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! নাম !! পরিমাণ
|-
| ছোলা ডাল (চানা ডাল) || ১ কাপ
|-
| সাদা ময়দা || ১/২ কাপ
|-
| দই || ১/২ কাপ
|-
| হরি মরি (কাঁচা মরিচ) || ২টি
|-
| আদা || ১ ইঞ্চি টুকরো
|-
| নিম্বুর রস || ১ টেবিল চামচ
|-
| এলাচি গুঁড়ো || ১/২ চা চামচ
|-
| বেকিং সোডা || ১ চা চামচ
|-
| তেল || ২ টেবিল চামচ
|-
| সরিষার বীজ || ১ চা চামচ
|-
| কাঁচা ধনে পাতা (কুচানো) || ২ টেবিল চামচ
|-
| লবণ || স্বাদমতো
|-
| জল || ১ কাপ (মিশ্রণ তৈরির জন্য)
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# ছোলা ডাল ভালো করে ধুয়ে রাতে ভিজিয়ে রাখুন।
# ভিজানো ডাল ও ময়দা, দই, কাঁচা মরিচ, আদা, নিম্বুর রস, ইলাচি গুঁড়ো ও লবণ দিয়ে ব্লেন্ডারে মিহি পেস্ট তৈরি করুন।
# মিশ্রণটি একটি বড় পাত্রে নিয়ে ৪ থেকে ৫ ঘণ্টা অথবা সারা রাত রেখে মজতে দিন।
# মজানো হয়ে গেলে মিশ্রণে বেকিং সোডা মেশান এবং দ্রুত নাড়ুন।
# একটি পাত্রে জল ঢেলে তার উপরে বাষ্প তৈরি করার জন্য ধোঁয়া দিন।
# একটি ঢাকনা-বদ্ধ পাত্রে সামান্য তেল মেখে মিশ্রণ ঢেলে বাষ্পে ২০-২৫ মিনিট সিদ্ধ করুন।
# সিদ্ধ হয়ে গেলে ঠান্ডা হতে দিন, তারপর পাত্র থেকে বের করে বড়া বড় টুকরো করে কেটে নিন।
# অন্য একটি প্যানে তেল গরম করে সরিষার বীজ ফোটান, তারপর এটি ধোকলার উপরে ঢেলে দিন।
# কুচানো ধনে পাতা ছড়িয়ে পরিবেশন করুন।
<span style=color:red;><center>'''হালকা নাস্তা হিসেবে চা বা যেকোনো পাবীয়ের সাথে পরিবেশন করুন।'''</center></span>
== পরামর্শ ==
* মজানো ভালো না হলে ধোকলা ফুলে উঠবে না, তাই সময় দিন মজানোর জন্য।
* বেকিং সোডা পরিমাণমতো ব্যবহার করুন, বেশি দিলে ধোকলা টক হয়ে যেতে পারে।
== স্বাস্থ্য উপকারিতা ও ঝুঁকি ==
ছোলা ডাল প্রোটিন ও ফাইবার সমৃদ্ধ যা পেটের জন্য ভালো। ধোকলা তৈরিতে তেল খুব কম ব্যবহার হয়, তাই এটি স্বাস্থ্যকর একটি নাস্তা। তবে বেকিং সোডার অতিরিক্ত ব্যবহার ক্ষতিকর হতে পারে, তাই সাবধানতা দরকার।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:ভারতীয় নাস্তা]]
[[Category:ঐতিহ্যবাহী খাবার]]
[[Category:মসলা ব্যবহারিক রেসিপি]]
3obbvhgctl1bdtatx6fe2mdc4v2vs3d
84475
84474
2025-06-17T00:02:33Z
Mehedi Abedin
7113
84475
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = জলখাবার
| পরিবেশন = ৪ জন
| তৈরির সময় = ৪৫ মিনিট
| কষ্টসাধ্য = ৩
| খাদ্য শক্তি = উচ্চ
| টীকা = ভারতের গুজরাত অঞ্চলের জনপ্রিয় নাস্তা, যা মসলা ও ময়দার মিশ্রণে ভাজা হয়। এটি চা অথবা অন্য কোন পানীয়ের সাথে বিশেষ উপভোগ্য।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''ধোকলা'''</big></center>
ধোকলা হলো গুজরাতের একটি জনপ্রিয় জলখাবার যা সেদ্ধ ময়দা এবং চানা ডালের মিশ্রণ দিয়ে তৈরি। এর নরম ও মসলা ভরা স্বাদ সকল বয়সের মানুষের কাছে প্রিয়। সাধারণত সন্ধ্যার নাস্তায় বা উৎসব ও বর্ণিল অনুষ্ঠানে ধোকলা অত্যন্ত সমাদৃত।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! নাম !! পরিমাণ
|-
| ছোলা ডাল (চানা ডাল) || ১ কাপ
|-
| সাদা ময়দা || ১/২ কাপ
|-
| দই || ১/২ কাপ
|-
| হরি মরি (কাঁচা মরিচ) || ২টি
|-
| আদা || ১ ইঞ্চি টুকরো
|-
| নিম্বুর রস || ১ টেবিল চামচ
|-
| এলাচি গুঁড়ো || ১/২ চা চামচ
|-
| বেকিং সোডা || ১ চা চামচ
|-
| তেল || ২ টেবিল চামচ
|-
| সরিষার বীজ || ১ চা চামচ
|-
| কাঁচা ধনে পাতা (কুচানো) || ২ টেবিল চামচ
|-
| লবণ || স্বাদমতো
|-
| জল || ১ কাপ (মিশ্রণ তৈরির জন্য)
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# ছোলা ডাল ভালো করে ধুয়ে রাতে ভিজিয়ে রাখুন।
# ভিজানো ডাল ও ময়দা, দই, কাঁচা মরিচ, আদা, নিম্বুর রস, ইলাচি গুঁড়ো ও লবণ দিয়ে ব্লেন্ডারে মিহি পেস্ট তৈরি করুন।
# মিশ্রণটি একটি বড় পাত্রে নিয়ে ৪ থেকে ৫ ঘণ্টা অথবা সারা রাত রেখে মজতে দিন।
# মজানো হয়ে গেলে মিশ্রণে বেকিং সোডা মেশান এবং দ্রুত নাড়ুন।
# একটি পাত্রে জল ঢেলে তার উপরে বাষ্প তৈরি করার জন্য ধোঁয়া দিন।
# একটি ঢাকনা-বদ্ধ পাত্রে সামান্য তেল মেখে মিশ্রণ ঢেলে বাষ্পে ২০-২৫ মিনিট সিদ্ধ করুন।
# সিদ্ধ হয়ে গেলে ঠান্ডা হতে দিন, তারপর পাত্র থেকে বের করে বড়া বড় টুকরো করে কেটে নিন।
# অন্য একটি প্যানে তেল গরম করে সরিষার বীজ ফোটান, তারপর এটি ধোকলার উপরে ঢেলে দিন।
# কুচানো ধনে পাতা ছড়িয়ে পরিবেশন করুন।
<span style=color:red;><center>'''হালকা নাস্তা হিসেবে চা বা যেকোনো পাবীয়ের সাথে পরিবেশন করুন।'''</center></span>
== পরামর্শ ==
* মজানো ভালো না হলে ধোকলা ফুলে উঠবে না, তাই সময় দিন মজানোর জন্য।
* বেকিং সোডা পরিমাণমতো ব্যবহার করুন, বেশি দিলে ধোকলা টক হয়ে যেতে পারে।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:ভারতীয় নাস্তা]]
[[Category:ঐতিহ্যবাহী খাবার]]
[[Category:মসলা ব্যবহারিক রেসিপি]]
nt62poex2aqzrg1sbfn9qewqz20kg1u
রন্ধনপ্রণালী:পটেটো ওয়েজেস
104
25501
84598
79428
2025-06-17T01:53:41Z
Mehedi Abedin
7113
84598
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = জলখাবার
| পরিবেশন = ৪ জন
| তৈরির সময় = ৩০ মিনিট
| কষ্টসাধ্য = ২
| খাদ্য শক্তি = মাঝারি
| টীকা = পটেটো ওয়েজেস হলো মসলা যুক্ত সোনালি ভাজা আলুর টুকরো যা নাস্তা বা আহার হিসেবে খুব জনপ্রিয়।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''পটেটো ওয়েজেস'''</big></center>
পটেটো ওয়েজেস একধরনের ভাজা আলুর পদ যা সুস্বাদু মসলাযুক্ত ও ঝাল-মিষ্টি স্বাদের জন্য সবাই পছন্দ করে। হালকা খাস্তা আর ভিতরে নরম আলুর টুকরোগুলো দিয়ে তৈরি এই পদটি সারা বিশ্বের অনেক জায়গায় জনপ্রিয়। এটি বিকেলের নাস্তা বা অনুষ্ঠানের খাবারের সঙ্গী হিসেবে দারুণ উপযুক্ত।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! নাম !! পরিমাণ
|-
| আলু || ৪টি (মাঝারি আকারের)
|-
| লবণ || স্বাদমতো
|-
| গোলমরিচ গুঁড়ো || ১ চা চামচ
|-
| মরিচ গুঁড়ো || ১/২ চা চামচ (ঐচ্ছিক)
|-
| ধনে গুঁড়ো || ১/২ চা চামচ
|-
| রসুন বাটা || ১ চা চামচ
|-
| তেল || পরিমাণমতো (ভাজার জন্য)
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# আলুগুলো ভাল করে ধুয়ে খোসা ছাড়িয়ে নিন।
# বড় বড় ওয়েজ আকারে কেটে নিন, অর্থাৎ আলুগুলো ৮ ভাগে ভাগ করুন।
# কাটা আলুগুলোকে ঠান্ডা জলে ২০ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন যাতে থেকে স্টার্চ বেরিয়ে যায় ও আলু সেঁকলে মচমচে হয়।
# পানি ঝরিয়ে আলুগুলোকে ভালো করে শুকিয়ে নিন।
# একটি বড় বাটিতে আলুগুলো নিন, তাতে লবণ, গোলমরিচ গুঁড়ো, মরিচ গুঁড়ো, ধনে গুঁড়ো, রসুন বাটা ভালোভাবে মিশিয়ে নিন যাতে আলুর প্রতিটি টুকরো মসলাযুক্ত হয়।
# মাঝারি আঁচে তেল গরম করুন।
# আলুগুলো ধীরে ধীরে গরম তেলে দিয়ে বাদামী ও সোনালি হওয়া পর্যন্ত ভাজুন।
# ভাজা হয়ে গেলে কাগজের তোয়ালে বিছিয়ে তেল ঝরিয়ে নিন।
== পরিবেশন ==
তরকারি চাটনি, টমেটো চাটনি অথবা মায়োনেজসহ গরম গরম পরিবেশন করুন।
== পরামর্শ ==
* আলু খুব বেশি সেদ্ধ করলে ওয়েজেস ভাজার সময় মসৃণ থাকে না, তাই ভালো করে শুকিয়ে ভাজা জরুরি।
* মরিচ গুঁড়ো ছাড়া ঝাল কমাতে পারেন।
* ওভেনে বেক করেও বানানো যায়, স্বাস্থ্য সচেতনদের জন্য ভালো বিকল্প।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:বাংলাদেশি জলখাবার]]
fwbil86tq4fyfnsemwlmbq5g2ix75y6
84599
84598
2025-06-17T01:53:56Z
Mehedi Abedin
7113
84599
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = জলখাবার
| পরিবেশন = ৪ জন
| তৈরির সময় = ৩০ মিনিট
| কষ্টসাধ্য = ২
| খাদ্য শক্তি = মাঝারি
| টীকা = পটেটো ওয়েজেস হলো মসলা যুক্ত সোনালি ভাজা আলুর টুকরো যা নাস্তা বা আহার হিসেবে খুব জনপ্রিয়।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''পটেটো ওয়েজেস'''</big></center>
পটেটো ওয়েজেস একধরনের ভাজা আলুর পদ যা সুস্বাদু মসলাযুক্ত ও ঝাল-মিষ্টি স্বাদের জন্য সবাই পছন্দ করে। হালকা খাস্তা আর ভিতরে নরম আলুর টুকরোগুলো দিয়ে তৈরি এই পদটি সারা বিশ্বের অনেক জায়গায় জনপ্রিয়। এটি বিকেলের নাস্তা বা অনুষ্ঠানের খাবারের সঙ্গী হিসেবে দারুণ উপযুক্ত।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! নাম !! পরিমাণ
|-
| আলু || ৪টি (মাঝারি আকারের)
|-
| লবণ || স্বাদমতো
|-
| গোলমরিচ গুঁড়ো || ১ চা চামচ
|-
| মরিচ গুঁড়ো || ১/২ চা চামচ (ঐচ্ছিক)
|-
| ধনে গুঁড়ো || ১/২ চা চামচ
|-
| রসুন বাটা || ১ চা চামচ
|-
| তেল || পরিমাণমতো (ভাজার জন্য)
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# আলুগুলো ভাল করে ধুয়ে খোসা ছাড়িয়ে নিন।
# বড় বড় ওয়েজ আকারে কেটে নিন, অর্থাৎ আলুগুলো ৮ ভাগে ভাগ করুন।
# কাটা আলুগুলোকে ঠান্ডা জলে ২০ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন যাতে থেকে স্টার্চ বেরিয়ে যায় ও আলু সেঁকলে মচমচে হয়।
# পানি ঝরিয়ে আলুগুলোকে ভালো করে শুকিয়ে নিন।
# একটি বড় বাটিতে আলুগুলো নিন, তাতে লবণ, গোলমরিচ গুঁড়ো, মরিচ গুঁড়ো, ধনে গুঁড়ো, রসুন বাটা ভালোভাবে মিশিয়ে নিন যাতে আলুর প্রতিটি টুকরো মসলাযুক্ত হয়।
# মাঝারি আঁচে তেল গরম করুন।
# আলুগুলো ধীরে ধীরে গরম তেলে দিয়ে বাদামী ও সোনালি হওয়া পর্যন্ত ভাজুন।
# ভাজা হয়ে গেলে কাগজের তোয়ালে বিছিয়ে তেল ঝরিয়ে নিন।
<span style=color:red;><center>'''তরকারি চাটনি, টমেটো চাটনি অথবা মায়োনেজসহ গরম গরম পরিবেশন করুন।'''</center></span>
== পরামর্শ ==
* আলু খুব বেশি সেদ্ধ করলে ওয়েজেস ভাজার সময় মসৃণ থাকে না, তাই ভালো করে শুকিয়ে ভাজা জরুরি।
* মরিচ গুঁড়ো ছাড়া ঝাল কমাতে পারেন।
* ওভেনে বেক করেও বানানো যায়, স্বাস্থ্য সচেতনদের জন্য ভালো বিকল্প।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:বাংলাদেশি জলখাবার]]
4g30aorwbj1p5rjcjjj9hyik9ihdy99
84600
84599
2025-06-17T01:54:51Z
Mehedi Abedin
7113
84600
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = জলখাবার
| পরিবেশন = ৪ জন
| তৈরির সময় = ৩০ মিনিট
| কষ্টসাধ্য = ২
| খাদ্য শক্তি = মাঝারি
| টীকা = মসলা যুক্ত সোনালি ভাজা আলুর টুকরো যা নাস্তা বা আহার হিসেবে খুব জনপ্রিয়।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''পটেটো ওয়েজেস'''</big></center>
পটেটো ওয়েজেস একধরনের ভাজা আলুর পদ যা সুস্বাদু মসলাযুক্ত ও ঝাল-মিষ্টি স্বাদের জন্য সবাই পছন্দ করে। হালকা খাস্তা আর ভিতরে নরম আলুর টুকরোগুলো দিয়ে তৈরি এই পদটি সারা বিশ্বের অনেক জায়গায় জনপ্রিয়। এটি বিকেলের নাস্তা বা বিভিন্ন অনুষ্ঠানের খাবারের পার্শ্বপদ হিসেবে দারুণ উপযুক্ত।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! নাম !! পরিমাণ
|-
| আলু || ৪টি (মাঝারি আকারের)
|-
| লবণ || স্বাদমতো
|-
| গোলমরিচ গুঁড়ো || ১ চা চামচ
|-
| মরিচ গুঁড়ো || ১/২ চা চামচ (ঐচ্ছিক)
|-
| ধনে গুঁড়ো || ১/২ চা চামচ
|-
| রসুন বাটা || ১ চা চামচ
|-
| তেল || পরিমাণমতো (ভাজার জন্য)
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# আলুগুলো ভাল করে ধুয়ে খোসা ছাড়িয়ে নিন।
# বড় বড় ওয়েজ আকারে কেটে নিন, অর্থাৎ আলুগুলো ৮ ভাগে ভাগ করুন।
# কাটা আলুগুলোকে ঠান্ডা জলে ২০ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন যাতে থেকে স্টার্চ বেরিয়ে যায় ও আলু সেঁকলে মচমচে হয়।
# পানি ঝরিয়ে আলুগুলোকে ভালো করে শুকিয়ে নিন।
# একটি বড় বাটিতে আলুগুলো নিন, তাতে লবণ, গোলমরিচ গুঁড়ো, মরিচ গুঁড়ো, ধনে গুঁড়ো, রসুন বাটা ভালোভাবে মিশিয়ে নিন যাতে আলুর প্রতিটি টুকরো মসলাযুক্ত হয়।
# মাঝারি আঁচে তেল গরম করুন।
# আলুগুলো ধীরে ধীরে গরম তেলে দিয়ে বাদামী ও সোনালি হওয়া পর্যন্ত ভাজুন।
# ভাজা হয়ে গেলে কাগজের তোয়ালে বিছিয়ে তেল ঝরিয়ে নিন।
<span style=color:red;><center>'''তরকারি চাটনি, টমেটো চাটনি অথবা মায়োনেজসহ গরম গরম পরিবেশন করুন।'''</center></span>
== পরামর্শ ==
* আলু খুব বেশি সেদ্ধ করলে ওয়েজেস ভাজার সময় মসৃণ থাকে না, তাই ভালো করে শুকিয়ে ভাজা জরুরি।
* মরিচ গুঁড়ো ছাড়া ঝাল কমাতে পারেন।
* ওভেনে বেক করেও বানানো যায়, স্বাস্থ্য সচেতনদের জন্য ভালো বিকল্প।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:বাংলাদেশি জলখাবার]]
8zenrrc6m30uy1zjds59isv9lnlwyy4
84601
84600
2025-06-17T01:55:39Z
Mehedi Abedin
7113
84601
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = জলখাবার
| পরিবেশন = ৪ জন
| তৈরির সময় = ৩০ মিনিট
| কষ্টসাধ্য = ২
| খাদ্য শক্তি = মাঝারি
| টীকা = মসলা যুক্ত সোনালি ভাজা আলুর টুকরো যা নাস্তা বা আহার হিসেবে খুব জনপ্রিয়।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''পটেটো ওয়েজেস'''</big></center>
পটেটো ওয়েজেস একধরনের ভাজা আলুর পদ যা সুস্বাদু মসলাযুক্ত ও ঝাল-মিষ্টি স্বাদের জন্য সবাই পছন্দ করে। হালকা খাস্তা আর ভিতরে নরম আলুর টুকরোগুলো দিয়ে তৈরি এই পদটি সারা বিশ্বের অনেক জায়গায় জনপ্রিয়। এটি বিকেলের নাস্তা বা বিভিন্ন অনুষ্ঠানের খাবারের পার্শ্বপদ হিসেবে দারুণ উপযুক্ত।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! নাম !! পরিমাণ
|-
| আলু || ৪টি (মাঝারি আকারের)
|-
| লবণ || স্বাদমতো
|-
| গোলমরিচ গুঁড়ো || ১ চা চামচ
|-
| মরিচ গুঁড়ো || ১/২ চা চামচ (ঐচ্ছিক)
|-
| ধনে গুঁড়ো || ১/২ চা চামচ
|-
| রসুন বাটা || ১ চা চামচ
|-
| তেল || পরিমাণমতো (ভাজার জন্য)
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# আলুগুলো ভাল করে ধুয়ে খোসা ছাড়িয়ে নিন।
# বড় বড় ওয়েজ আকারে কেটে নিন, অর্থাৎ আলুগুলো ৮ ভাগে ভাগ করুন।
# কাটা আলুগুলোকে ঠান্ডা পানিতে ২০ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন যাতে থেকে স্টার্চ বেরিয়ে যায় ও আলু সেঁকলে মচমচে হয়।
# পানি ঝরিয়ে আলুগুলোকে ভালো করে শুকিয়ে নিন।
# একটি বড় বাটিতে আলুগুলো নিন, তাতে লবণ, গোলমরিচ গুঁড়ো, মরিচ গুঁড়ো, ধনে গুঁড়ো, রসুন বাটা ভালোভাবে মিশিয়ে নিন যাতে আলুর প্রতিটি টুকরো মসলাযুক্ত হয়।
# মাঝারি আঁচে তেল গরম করুন।
# আলুগুলো ধীরে ধীরে গরম তেলে দিয়ে বাদামী ও সোনালি হওয়া পর্যন্ত ভাজুন।
# ভাজা হয়ে গেলে কাগজের তোয়ালে বিছিয়ে তেল ঝরিয়ে নিন।
<span style=color:red;><center>'''তরকারি চাটনি, টমেটো চাটনি অথবা মায়োনেজসহ গরম গরম পরিবেশন করুন।'''</center></span>
== পরামর্শ ==
* আলু খুব বেশি সেদ্ধ করলে ওয়েজেস ভাজার সময় মসৃণ থাকে না, তাই ভালো করে শুকিয়ে ভাজা জরুরি।
* মরিচ গুঁড়ো ছাড়া ঝাল কমাতে পারেন।
* ওভেনে বেক করেও বানানো যায়, স্বাস্থ্য সচেতনদের জন্য ভালো বিকল্প।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:বাংলাদেশি জলখাবার]]
f3oz578bbj3yagsww6crjika4kdgzhk
84602
84601
2025-06-17T01:56:13Z
Mehedi Abedin
7113
84602
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = জলখাবার
| পরিবেশন = ৪ জন
| তৈরির সময় = ৩০ মিনিট
| কষ্টসাধ্য = ২
| খাদ্য শক্তি = মাঝারি
| টীকা = মসলা যুক্ত সোনালি ভাজা আলুর টুকরো যা নাস্তা বা আহার হিসেবে খুব জনপ্রিয়।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''পটেটো ওয়েজেস'''</big></center>
পটেটো ওয়েজেস একধরনের ভাজা আলুর পদ যা সুস্বাদু মসলাযুক্ত ও ঝাল-মিষ্টি স্বাদের জন্য সবাই পছন্দ করে। হালকা খাস্তা আর ভিতরে নরম আলুর টুকরোগুলো দিয়ে তৈরি এই পদটি সারা বিশ্বের অনেক জায়গায় জনপ্রিয়। এটি বিকেলের নাস্তা বা বিভিন্ন অনুষ্ঠানের খাবারের পার্শ্বপদ হিসেবে দারুণ উপযুক্ত।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! নাম !! পরিমাণ
|-
| আলু || ৪টি (মাঝারি আকারের)
|-
| লবণ || স্বাদমতো
|-
| গোলমরিচ গুঁড়ো || ১ চা চামচ
|-
| মরিচ গুঁড়ো || ১/২ চা চামচ (ঐচ্ছিক)
|-
| ধনে গুঁড়ো || ১/২ চা চামচ
|-
| রসুন বাটা || ১ চা চামচ
|-
| তেল || পরিমাণমতো (ভাজার জন্য)
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# আলুগুলো ভাল করে ধুয়ে খোসা ছাড়িয়ে নিন।
# বড় বড় ওয়েজ আকারে কেটে নিন, অর্থাৎ আলুগুলো ৮ ভাগে ভাগ করুন।
# কাটা আলুগুলোকে ঠান্ডা পানিতে ২০ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন যাতে থেকে স্টার্চ বেরিয়ে যায় ও আলু সেঁকলে মচমচে হয়।
# পানি ঝরিয়ে আলুগুলোকে ভালো করে শুকিয়ে নিন।
# একটি বড় বাটিতে আলুগুলো নিন, তাতে লবণ, গোলমরিচ গুঁড়ো, মরিচ গুঁড়ো, ধনে গুঁড়ো, রসুন বাটা ভালোভাবে মিশিয়ে নিন যাতে আলুর প্রতিটি টুকরো মসলাযুক্ত হয়।
# মাঝারি আঁচে তেল গরম করুন।
# আলুগুলো ধীরে ধীরে গরম তেলে দিয়ে বাদামী ও সোনালি হওয়া পর্যন্ত ভাজুন।
# ভাজা হয়ে গেলে কাগজের তোয়ালে বিছিয়ে তেল ঝরিয়ে নিন।
<span style=color:red;><center>'''তরকারি চাটনি, টমেটো চাটনি অথবা মায়োনেজসহ গরম গরম পরিবেশন করুন।'''</center></span>
== পরামর্শ ==
* আলু খুব বেশি সেদ্ধ করলে ওয়েজেস ভাজার সময় মসৃণ থাকে না, তাই ভালো করে শুকিয়ে ভাজা জরুরি।
* মরিচ গুঁড়ো বাদ দিয়ে ঝাল কমাতে পারেন।
* ওভেনে বেক করেও বানানো যায়, স্বাস্থ্য সচেতনদের জন্য ভালো বিকল্প।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:বাংলাদেশি জলখাবার]]
7vs9pijs7rnz5hcwqlx8ez9y994ej7a
84603
84602
2025-06-17T01:56:23Z
Mehedi Abedin
7113
84603
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = জলখাবার
| পরিবেশন = ৪ জন
| তৈরির সময় = ৩০ মিনিট
| কষ্টসাধ্য = ২
| খাদ্য শক্তি = মাঝারি
| টীকা = মসলা যুক্ত সোনালি ভাজা আলুর টুকরো যা নাস্তা বা আহার হিসেবে খুব জনপ্রিয়।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''পটেটো ওয়েজেস'''</big></center>
পটেটো ওয়েজেস একধরনের ভাজা আলুর পদ যা সুস্বাদু মসলাযুক্ত ও ঝাল-মিষ্টি স্বাদের জন্য সবাই পছন্দ করে। হালকা খাস্তা আর ভিতরে নরম আলুর টুকরোগুলো দিয়ে তৈরি এই পদটি সারা বিশ্বের অনেক জায়গায় জনপ্রিয়। এটি বিকেলের নাস্তা বা বিভিন্ন অনুষ্ঠানের খাবারের পার্শ্বপদ হিসেবে দারুণ উপযুক্ত।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! নাম !! পরিমাণ
|-
| আলু || ৪টি (মাঝারি আকারের)
|-
| লবণ || স্বাদমতো
|-
| গোলমরিচ গুঁড়ো || ১ চা চামচ
|-
| মরিচ গুঁড়ো || ১/২ চা চামচ (ঐচ্ছিক)
|-
| ধনে গুঁড়ো || ১/২ চা চামচ
|-
| রসুন বাটা || ১ চা চামচ
|-
| তেল || পরিমাণমতো (ভাজার জন্য)
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# আলুগুলো ভাল করে ধুয়ে খোসা ছাড়িয়ে নিন।
# বড় বড় ওয়েজ আকারে কেটে নিন, অর্থাৎ আলুগুলো ৮ ভাগে ভাগ করুন।
# কাটা আলুগুলোকে ঠান্ডা পানিতে ২০ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন যাতে থেকে স্টার্চ বেরিয়ে যায় ও আলু সেঁকলে মচমচে হয়।
# পানি ঝরিয়ে আলুগুলোকে ভালো করে শুকিয়ে নিন।
# একটি বড় বাটিতে আলুগুলো নিন, তাতে লবণ, গোলমরিচ গুঁড়ো, মরিচ গুঁড়ো, ধনে গুঁড়ো, রসুন বাটা ভালোভাবে মিশিয়ে নিন যাতে আলুর প্রতিটি টুকরো মসলাযুক্ত হয়।
# মাঝারি আঁচে তেল গরম করুন।
# আলুগুলো ধীরে ধীরে গরম তেলে দিয়ে বাদামী ও সোনালি হওয়া পর্যন্ত ভাজুন।
# ভাজা হয়ে গেলে কাগজের তোয়ালে বিছিয়ে তেল ঝরিয়ে নিন।
<span style=color:red;><center>'''তরকারি চাটনি, টমেটো চাটনি অথবা মায়োনেজসহ গরম গরম পরিবেশন করুন।'''</center></span>
== পরামর্শ ==
* আলু খুব বেশি সেদ্ধ করলে ওয়েজেস ভাজার সময় মসৃণ থাকে না, তাই ভালো করে শুকিয়ে ভাজা জরুরি।
* মরিচ গুঁড়ো বাদ দিয়ে ঝাল কমাতে পারেন।
* ওভেনে বেক করেও বানানো যায়, স্বাস্থ্য সচেতনদের জন্য ভালো বিকল্প।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:বাংলাদেশী জলখাবার]]
ifqbnr7z618jfz40ku1hsnbkgao11n9
রন্ধনপ্রণালী:চিকেন নাচোস
104
25503
84604
79432
2025-06-17T01:57:20Z
Mehedi Abedin
7113
84604
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = জলখাবার
| পরিবেশন = ৩–৪ জন
| তৈরির সময় = ৪৫ মিনিট
| কষ্টসাধ্য = ২
| খাদ্য শক্তি = মাঝারি
| টীকা = চিকেন নাচোস একটি জনপ্রিয় নাস্তার পদ যেখানে কর্ন চিপসের উপর মসলাদার মুরগি, পনীর ও নানা উপকরণ দিয়ে সাজানো হয়।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''চিকেন নাচোস'''</big></center>
চিকেন নাচোস একধরনের বাহারি ও আকর্ষণীয় পদ যা কর্ন চিপসের উপর ঝাল-মিষ্টি মুরগির কিমা, টমেটো, পেঁয়াজ, কাঁচা লঙ্কা ও গলানো পনীর দিয়ে তৈরি হয়। এটি সাধারণত জলখাবার বা হালকা খাবার হিসেবে পরিবেশন করা হয়, বিশেষ করে সন্ধ্যার সময় আয়োজনে বা পরিবারের আড্ডায় এটি দারুণ জমে।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! নাম !! পরিমাণ
|-
| কর্ন চিপস || ২ কাপ
|-
| মুরগির মাংস (সেদ্ধ ও কুচি করা) || ১ কাপ
|-
| পেঁয়াজ কুচি || ১/২ কাপ
|-
| টমেটো কুচি || ১/২ কাপ
|-
| কাঁচা লঙ্কা কুচি || ২টি
|-
| রসুন বাটা || ১ চা চামচ
|-
| লেবুর রস || ১ চা চামচ
|-
| গোলমরিচ গুঁড়ো || ১/২ চা চামচ
|-
| লবণ || স্বাদমতো
|-
| ধনেপাতা কুচি || ২ টেবিল চামচ
|-
| পনির বা মোজারেল্লা চিজ (কুচি করা) || ১ কাপ
|-
| তেল || ১ টেবিল চামচ
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# প্রথমে একটি পাত্রে তেল গরম করে রসুন বাটা ও পেঁয়াজ কুচি হালকা ভেজে নিন।
# তাতে সেদ্ধ মুরগির কিমা, টমেটো কুচি, কাঁচা লঙ্কা, লবণ ও গোলমরিচ গুঁড়ো দিয়ে কয়েক মিনিট নাড়ুন।
# মসলা মিশে গেলে লেবুর রস ও ধনেপাতা কুচি দিয়ে নামিয়ে রাখুন।
# একটি ওভেন-প্রুফ পাত্রে কর্ন চিপস বিছিয়ে তার উপর রান্না করা চিকেনের মিশ্রণ ছড়িয়ে দিন।
# উপর থেকে পনীর ছড়িয়ে দিন এবং ওভেনে ১৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ৮–১০ মিনিট রাখুন যতক্ষণ না চিজ গলে যায়।
# চাইলে কিছু কাঁচা টমেটো, পেঁয়াজ ও ধনেপাতা সাজিয়ে পরিবেশন করুন।
== পরিবেশন ==
চিকেন নাচোস গরম গরম পরিবেশন করুন সস বা দই-চাটনি দিয়ে। এটি বিকেলের হালকা খাবার, সিনেমা দেখার সময় নাস্তা কিংবা বন্ধুদের আড্ডায় পরিবেশনের জন্য আদর্শ।
== পরামর্শ ==
* মুরগির পরিবর্তে গরুর কিমা ব্যবহার করলেও স্বাদ ভালো হয়।
* অতিরিক্ত মশলা পছন্দ হলে শুকনো মরিচ গুঁড়ো যোগ করা যায়।
* বাড়তি স্বাদের জন্য সাদা সস বা দই দিয়ে টপিং করা যায়।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:মুরগির পদ]]
1d26w8txqjuu0lrktd52l24ovrf9g71
84605
84604
2025-06-17T01:57:42Z
Mehedi Abedin
7113
84605
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = জলখাবার
| পরিবেশন = ৩–৪ জন
| তৈরির সময় = ৪৫ মিনিট
| কষ্টসাধ্য = ২
| খাদ্য শক্তি = মাঝারি
| টীকা = চিকেন নাচোস একটি জনপ্রিয় নাস্তার পদ যেখানে কর্ন চিপসের উপর মসলাদার মুরগি, পনীর ও নানা উপকরণ দিয়ে সাজানো হয়।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''চিকেন নাচোস'''</big></center>
চিকেন নাচোস একধরনের বাহারি ও আকর্ষণীয় পদ যা কর্ন চিপসের উপর ঝাল-মিষ্টি মুরগির কিমা, টমেটো, পেঁয়াজ, কাঁচা লঙ্কা ও গলানো পনীর দিয়ে তৈরি হয়। এটি সাধারণত জলখাবার বা হালকা খাবার হিসেবে পরিবেশন করা হয়, বিশেষ করে সন্ধ্যার সময় আয়োজনে বা পরিবারের আড্ডায় এটি দারুণ জমে।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! নাম !! পরিমাণ
|-
| কর্ন চিপস || ২ কাপ
|-
| মুরগির মাংস (সেদ্ধ ও কুচি করা) || ১ কাপ
|-
| পেঁয়াজ কুচি || ১/২ কাপ
|-
| টমেটো কুচি || ১/২ কাপ
|-
| কাঁচা লঙ্কা কুচি || ২টি
|-
| রসুন বাটা || ১ চা চামচ
|-
| লেবুর রস || ১ চা চামচ
|-
| গোলমরিচ গুঁড়ো || ১/২ চা চামচ
|-
| লবণ || স্বাদমতো
|-
| ধনেপাতা কুচি || ২ টেবিল চামচ
|-
| পনির বা মোজারেল্লা চিজ (কুচি করা) || ১ কাপ
|-
| তেল || ১ টেবিল চামচ
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# প্রথমে একটি পাত্রে তেল গরম করে রসুন বাটা ও পেঁয়াজ কুচি হালকা ভেজে নিন।
# তাতে সেদ্ধ মুরগির কিমা, টমেটো কুচি, কাঁচা লঙ্কা, লবণ ও গোলমরিচ গুঁড়ো দিয়ে কয়েক মিনিট নাড়ুন।
# মসলা মিশে গেলে লেবুর রস ও ধনেপাতা কুচি দিয়ে নামিয়ে রাখুন।
# একটি ওভেন-প্রুফ পাত্রে কর্ন চিপস বিছিয়ে তার উপর রান্না করা চিকেনের মিশ্রণ ছড়িয়ে দিন।
# উপর থেকে পনীর ছড়িয়ে দিন এবং ওভেনে ১৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ৮–১০ মিনিট রাখুন যতক্ষণ না চিজ গলে যায়।
# চাইলে কিছু কাঁচা টমেটো, পেঁয়াজ ও ধনেপাতা সাজিয়ে পরিবেশন করুন।
<span style=color:red;><center>'''গরম গরম পরিবেশন করুন সস বা দই-চাটনি দিয়ে।'''</center></span>
== পরামর্শ ==
* মুরগির পরিবর্তে গরুর কিমা ব্যবহার করলেও স্বাদ ভালো হয়।
* অতিরিক্ত মশলা পছন্দ হলে শুকনো মরিচ গুঁড়ো যোগ করা যায়।
* বাড়তি স্বাদের জন্য সাদা সস বা দই দিয়ে টপিং করা যায়।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:মুরগির পদ]]
cfbhc4vyv4478yvb5y9k7eyx1d8ud6q
84606
84605
2025-06-17T01:57:56Z
Mehedi Abedin
7113
84606
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = জলখাবার
| পরিবেশন = ৩–৪ জন
| তৈরির সময় = ৪৫ মিনিট
| কষ্টসাধ্য = ২
| খাদ্য শক্তি = মাঝারি
| টীকা = চিকেন নাচোস একটি জনপ্রিয় নাস্তার পদ যেখানে কর্ন চিপসের উপর মসলাদার মুরগি, পনীর ও নানা উপকরণ দিয়ে সাজানো হয়।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''চিকেন নাচোস'''</big></center>
চিকেন নাচোস একধরনের বাহারি ও আকর্ষণীয় পদ যা কর্ন চিপসের উপর ঝাল-মিষ্টি মুরগির কিমা, টমেটো, পেঁয়াজ, কাঁচা লঙ্কা ও গলানো পনীর দিয়ে তৈরি হয়। এটি সাধারণত জলখাবার বা হালকা খাবার হিসেবে পরিবেশন করা হয়, বিশেষ করে সন্ধ্যার সময় আয়োজনে বা পরিবারের আড্ডায় এটি দারুণ জমে।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! নাম !! পরিমাণ
|-
| কর্ন চিপস || ২ কাপ
|-
| মুরগির মাংস (সেদ্ধ ও কুচি করা) || ১ কাপ
|-
| পেঁয়াজ কুচি || ১/২ কাপ
|-
| টমেটো কুচি || ১/২ কাপ
|-
| কাঁচা লঙ্কা কুচি || ২টি
|-
| রসুন বাটা || ১ চা চামচ
|-
| লেবুর রস || ১ চা চামচ
|-
| গোলমরিচ গুঁড়ো || ১/২ চা চামচ
|-
| লবণ || স্বাদমতো
|-
| ধনেপাতা কুচি || ২ টেবিল চামচ
|-
| পনির বা মোজারেল্লা চিজ (কুচি করা) || ১ কাপ
|-
| তেল || ১ টেবিল চামচ
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# প্রথমে একটি পাত্রে তেল গরম করে রসুন বাটা ও পেঁয়াজ কুচি হালকা ভেজে নিন।
# তাতে সেদ্ধ মুরগির কিমা, টমেটো কুচি, কাঁচা লঙ্কা, লবণ ও গোলমরিচ গুঁড়ো দিয়ে কয়েক মিনিট নাড়ুন।
# মসলা মিশে গেলে লেবুর রস ও ধনেপাতা কুচি দিয়ে নামিয়ে রাখুন।
# একটি ওভেন-প্রুফ পাত্রে কর্ন চিপস বিছিয়ে তার উপর রান্না করা চিকেনের মিশ্রণ ছড়িয়ে দিন।
# উপর থেকে পনীর ছড়িয়ে দিন এবং ওভেনে ১৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ৮–১০ মিনিট রাখুন যতক্ষণ না চিজ গলে যায়।
# চাইলে কিছু কাঁচা টমেটো, পেঁয়াজ ও ধনেপাতা সাজিয়ে দিতে পারেন।
<span style=color:red;><center>'''গরম গরম পরিবেশন করুন সস বা দই-চাটনি দিয়ে।'''</center></span>
== পরামর্শ ==
* মুরগির পরিবর্তে গরুর কিমা ব্যবহার করলেও স্বাদ ভালো হয়।
* অতিরিক্ত মশলা পছন্দ হলে শুকনো মরিচ গুঁড়ো যোগ করা যায়।
* বাড়তি স্বাদের জন্য সাদা সস বা দই দিয়ে টপিং করা যায়।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:মুরগির পদ]]
b59undoj4pkl43vd58gd4yjzeg9325e
84607
84606
2025-06-17T01:58:40Z
Mehedi Abedin
7113
84607
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = জলখাবার
| পরিবেশন = ৩–৪ জন
| তৈরির সময় = ৪৫ মিনিট
| কষ্টসাধ্য = ২
| খাদ্য শক্তি = মাঝারি
| টীকা = জনপ্রিয় নাস্তার পদ যেখানে কর্ন চিপসের উপর মসলাদার মুরগি, পনীর ও নানা উপকরণ দিয়ে সাজানো হয়।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''চিকেন নাচোস'''</big></center>
চিকেন নাচোস একধরনের বাহারি ও আকর্ষণীয় পদ যা কর্ন চিপসের উপর ঝাল-মিষ্টি মুরগির কিমা, টমেটো, পেঁয়াজ, কাঁচা লঙ্কা ও গলানো পনির দিয়ে তৈরি হয়। এটি সাধারণত জলখাবার বা হালকা খাবার হিসেবে পরিবেশন করা হয়।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! নাম !! পরিমাণ
|-
| কর্ন চিপস || ২ কাপ
|-
| মুরগির মাংস (সেদ্ধ ও কুচি করা) || ১ কাপ
|-
| পেঁয়াজ কুচি || ১/২ কাপ
|-
| টমেটো কুচি || ১/২ কাপ
|-
| কাঁচা লঙ্কা কুচি || ২টি
|-
| রসুন বাটা || ১ চা চামচ
|-
| লেবুর রস || ১ চা চামচ
|-
| গোলমরিচ গুঁড়ো || ১/২ চা চামচ
|-
| লবণ || স্বাদমতো
|-
| ধনেপাতা কুচি || ২ টেবিল চামচ
|-
| পনির বা মোজারেল্লা চিজ (কুচি করা) || ১ কাপ
|-
| তেল || ১ টেবিল চামচ
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# প্রথমে একটি পাত্রে তেল গরম করে রসুন বাটা ও পেঁয়াজ কুচি হালকা ভেজে নিন।
# তাতে সেদ্ধ মুরগির কিমা, টমেটো কুচি, কাঁচা লঙ্কা, লবণ ও গোলমরিচ গুঁড়ো দিয়ে কয়েক মিনিট নাড়ুন।
# মসলা মিশে গেলে লেবুর রস ও ধনেপাতা কুচি দিয়ে নামিয়ে রাখুন।
# একটি ওভেন-প্রুফ পাত্রে কর্ন চিপস বিছিয়ে তার উপর রান্না করা চিকেনের মিশ্রণ ছড়িয়ে দিন।
# উপর থেকে পনীর ছড়িয়ে দিন এবং ওভেনে ১৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ৮–১০ মিনিট রাখুন যতক্ষণ না চিজ গলে যায়।
# চাইলে কিছু কাঁচা টমেটো, পেঁয়াজ ও ধনেপাতা সাজিয়ে দিতে পারেন।
<span style=color:red;><center>'''গরম গরম পরিবেশন করুন সস বা দই-চাটনি দিয়ে।'''</center></span>
== পরামর্শ ==
* মুরগির পরিবর্তে গরুর কিমা ব্যবহার করলেও স্বাদ ভালো হয়।
* অতিরিক্ত মশলা পছন্দ হলে শুকনো মরিচ গুঁড়ো যোগ করা যায়।
* বাড়তি স্বাদের জন্য সাদা সস বা দই দিয়ে টপিং করা যায়।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:মুরগির পদ]]
d2usj70ypl8f1cllsy7yrysbqx9tgrg
84608
84607
2025-06-17T01:59:56Z
Mehedi Abedin
7113
84608
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = জলখাবার
| পরিবেশন = ৩–৪ জন
| তৈরির সময় = ৪৫ মিনিট
| কষ্টসাধ্য = ২
| খাদ্য শক্তি = মাঝারি
| টীকা = জনপ্রিয় নাস্তার পদ যেখানে কর্ন চিপসের উপর মসলাদার মুরগি, পনীর ও নানা উপকরণ দিয়ে সাজানো হয়।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''চিকেন নাচোস'''</big></center>
চিকেন নাচোস একধরনের বাহারি ও আকর্ষণীয় পদ যা কর্ন চিপসের উপর ঝাল-মিষ্টি মুরগির কিমা, টমেটো, পেঁয়াজ, কাঁচা লঙ্কা ও গলানো পনির দিয়ে তৈরি হয়। এটি সাধারণত জলখাবার বা হালকা খাবার হিসেবে পরিবেশন করা হয়।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! নাম !! পরিমাণ
|-
| কর্ন চিপস || ২ কাপ
|-
| মুরগির মাংস (সেদ্ধ ও কুচি করা) || ১ কাপ
|-
| পেঁয়াজ কুচি || ১/২ কাপ
|-
| টমেটো কুচি || ১/২ কাপ
|-
| কাঁচা লঙ্কা কুচি || ২টি
|-
| রসুন বাটা || ১ চা চামচ
|-
| লেবুর রস || ১ চা চামচ
|-
| গোলমরিচ গুঁড়ো || ১/২ চা চামচ
|-
| লবণ || স্বাদমতো
|-
| ধনেপাতা কুচি || ২ টেবিল চামচ
|-
| পনির বা মোজারেল্লা চিজ (কুচি করা) || ১ কাপ
|-
| তেল || ১ টেবিল চামচ
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# প্রথমে একটি পাত্রে তেল গরম করে রসুন বাটা ও পেঁয়াজ কুচি হালকা ভেজে নিন।
# তাতে সেদ্ধ মুরগির কিমা, টমেটো কুচি, কাঁচা লঙ্কা, লবণ ও গোলমরিচ গুঁড়ো দিয়ে কয়েক মিনিট নাড়ুন।
# মসলা মিশে গেলে লেবুর রস ও ধনেপাতা কুচি দিয়ে নামিয়ে রাখুন।
# একটি ওভেন-প্রুফ পাত্রে কর্ন চিপস বিছিয়ে তার উপর রান্না করা মুরগির মিশ্রণ ছড়িয়ে দিন।
# উপর থেকে পনির ছড়িয়ে দিন এবং ওভেনে ১৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ৮–১০ মিনিট রাখুন যতক্ষণ না চিজ গলে যায়।
# চাইলে কিছু কাঁচা টমেটো, পেঁয়াজ ও ধনেপাতা সাজিয়ে দিতে পারেন।
<span style=color:red;><center>'''গরম গরম পরিবেশন করুন সস বা দই-চাটনি দিয়ে।'''</center></span>
== পরামর্শ ==
* মুরগির পরিবর্তে গরুর কিমা ব্যবহার করলেও স্বাদ ভালো হয়।
* অতিরিক্ত মশলা পছন্দ হলে শুকনো মরিচ গুঁড়ো যোগ করা যায়।
* বাড়তি স্বাদের জন্য সাদা সস বা দই দিয়ে টপিং করা যায়।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:মুরগির পদ]]
nnd699fpo9e375h7j4fnxvq3rf2jeij
84609
84608
2025-06-17T02:00:12Z
Mehedi Abedin
7113
84609
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = জলখাবার
| পরিবেশন = ৩–৪ জন
| তৈরির সময় = ৪৫ মিনিট
| কষ্টসাধ্য = ২
| খাদ্য শক্তি = মাঝারি
| টীকা = জনপ্রিয় নাস্তার পদ যেখানে কর্ন চিপসের উপর মসলাদার মুরগি, পনীর ও নানা উপকরণ দিয়ে সাজানো হয়।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''চিকেন নাচোস'''</big></center>
চিকেন নাচোস একধরনের বাহারি ও আকর্ষণীয় পদ যা কর্ন চিপসের উপর ঝাল-মিষ্টি মুরগির কিমা, টমেটো, পেঁয়াজ, কাঁচা লঙ্কা ও গলানো পনির দিয়ে তৈরি হয়। এটি সাধারণত জলখাবার বা হালকা খাবার হিসেবে পরিবেশন করা হয়।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! নাম !! পরিমাণ
|-
| কর্ন চিপস || ২ কাপ
|-
| মুরগির মাংস (সেদ্ধ ও কুচি করা) || ১ কাপ
|-
| পেঁয়াজ কুচি || ১/২ কাপ
|-
| টমেটো কুচি || ১/২ কাপ
|-
| কাঁচা লঙ্কা কুচি || ২টি
|-
| রসুন বাটা || ১ চা চামচ
|-
| লেবুর রস || ১ চা চামচ
|-
| গোলমরিচ গুঁড়ো || ১/২ চা চামচ
|-
| লবণ || স্বাদমতো
|-
| ধনেপাতা কুচি || ২ টেবিল চামচ
|-
| পনির বা মোজারেল্লা চিজ (কুচি করা) || ১ কাপ
|-
| তেল || ১ টেবিল চামচ
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# প্রথমে একটি পাত্রে তেল গরম করে রসুন বাটা ও পেঁয়াজ কুচি হালকা ভেজে নিন।
# তাতে সেদ্ধ মুরগির কিমা, টমেটো কুচি, কাঁচা লঙ্কা, লবণ ও গোলমরিচ গুঁড়ো দিয়ে কয়েক মিনিট নাড়ুন।
# মসলা মিশে গেলে লেবুর রস ও ধনেপাতা কুচি দিয়ে নামিয়ে রাখুন।
# একটি ওভেন-প্রুফ পাত্রে কর্ন চিপস বিছিয়ে তার উপর রান্না করা মুরগির মিশ্রণ ছড়িয়ে দিন।
# উপর থেকে পনির ছড়িয়ে দিন এবং ওভেনে ১৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ৮–১০ মিনিট রাখুন যতক্ষণ না চিজ গলে যায়।
# চাইলে কিছু কাঁচা টমেটো, পেঁয়াজ ও ধনেপাতা সাজিয়ে দিতে পারেন।
<span style=color:red;><center>'''গরম গরম পরিবেশন করুন সস বা দই-চাটনি দিয়ে।'''</center></span>
== পরামর্শ ==
* অতিরিক্ত মশলা পছন্দ হলে শুকনো মরিচ গুঁড়ো যোগ করা যায়।
* বাড়তি স্বাদের জন্য সাদা সস বা দই দিয়ে টপিং করা যায়।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:মুরগির পদ]]
14thw8dtje498n7k0g99p03ev0ww2e7
রন্ধনপ্রণালী:হুমুস
104
25504
84610
79439
2025-06-17T02:01:08Z
Mehedi Abedin
7113
84610
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ =পার্শ্বপদ
| পরিবেশন = ৪–৫ জন
| তৈরির সময় = ৩০ মিনিট
| কষ্টসাধ্য = ২
| খাদ্য শক্তি = উচ্চ
| টীকা = হুমুস মধ্যপ্রাচ্যের একটি জনপ্রিয় ছোলাবিষ্কৃত খাবার যা রুটি বা সবজির সঙ্গে খাওয়া হয়।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''হুমুস'''</big></center>
হুমুস একটি ঘন, মসৃণ এবং পুষ্টিকর পার্শ্বপদ যা সাধারণত রুটি, সবজি বা খবুজ জাতীয় পদের সঙ্গে খাওয়া হয়। এটি মূলত মধ্যপ্রাচ্যের প্রাচীন রান্নার অংশ হলেও এখন সারা বিশ্বেই জনপ্রিয়। ছোলা, তিল বাটা, রসুন ও জলপাই তেল মিশিয়ে তৈরি এই পদ স্বাদে ও পুষ্টিতে অতুলনীয়।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! নাম !! পরিমাণ
|-
| সেদ্ধ ছোলা || ১ কাপ
|-
| তিল বাটা (তাহিনি) || ৩ টেবিল চামচ
|-
| রসুন বাটা || ১ চা চামচ
|-
| লেবুর রস || ২ টেবিল চামচ
|-
| জলপাই তেল || ৩ টেবিল চামচ
|-
| লবণ || স্বাদমতো
|-
| জিরা গুঁড়ো || ১/২ চা চামচ
|-
| গরম পানি || প্রয়োজনে
|-
| মরিচ গুঁড়ো ও জলপাই তেল (সাজানোর জন্য) || ইচ্ছামতো
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# সেদ্ধ ছোলা ঠান্ডা করে নিয়ে মিক্সারে দিন।
# এর সঙ্গে তিল বাটা, রসুন বাটা, লেবুর রস, লবণ, জিরা গুঁড়ো ও জলপাই তেল যোগ করুন।
# সব উপকরণ একসঙ্গে মিহি করে ভর্তা বানান। দরকার হলে অল্প গরম পানি যোগ করে ঘনতা ঠিক করুন।
# পেস্টটি একটি বাটিতে ঢেলে উপর থেকে কিছু জলপাই তেল ও মরিচ গুঁড়ো ছিটিয়ে দিন।
== পরিবেশন ==
হুমুস সাধারণত পিটা রুটি, তন্দুরি রুটি সঙ্গে পরিবেশন করা হয়। এটি আড্ডা কিংবা নাস্তায় একটি উপাদেয় ও স্বাস্থ্যকর বিকল্প।
== পরামর্শ ==
* ছোলার খোসা ছাড়িয়ে নিলে হুমুস আরও মসৃণ হয়।
* তিল বাটার পরিবর্তে ভাজা তিল ও জলপাই তেল মিশিয়ে এটি বানানো যায়।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:পার্শ্বপদ]]
[[Category:মধ্যপ্রাচ্যের খাবার]]
6akt3alvalqqv3gps02to49u5t30jle
84611
84610
2025-06-17T02:01:40Z
Mehedi Abedin
7113
84611
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ =পার্শ্বপদ
| পরিবেশন = ৪–৫ জন
| তৈরির সময় = ৩০ মিনিট
| কষ্টসাধ্য = ২
| খাদ্য শক্তি = উচ্চ
| টীকা = হুমুস মধ্যপ্রাচ্যের একটি জনপ্রিয় ছোলাবিষ্কৃত খাবার যা রুটি বা সবজির সঙ্গে খাওয়া হয়।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''হুমুস'''</big></center>
হুমুস একটি ঘন, মসৃণ এবং পুষ্টিকর পার্শ্বপদ যা সাধারণত রুটি, সবজি বা খবুজ জাতীয় পদের সঙ্গে খাওয়া হয়। এটি মূলত মধ্যপ্রাচ্যের প্রাচীন রান্নার অংশ হলেও এখন সারা বিশ্বেই জনপ্রিয়। ছোলা, তিল বাটা, রসুন ও জলপাই তেল মিশিয়ে তৈরি এই পদ স্বাদে ও পুষ্টিতে অতুলনীয়।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! নাম !! পরিমাণ
|-
| সেদ্ধ ছোলা || ১ কাপ
|-
| তিল বাটা (তাহিনি) || ৩ টেবিল চামচ
|-
| রসুন বাটা || ১ চা চামচ
|-
| লেবুর রস || ২ টেবিল চামচ
|-
| জলপাই তেল || ৩ টেবিল চামচ
|-
| লবণ || স্বাদমতো
|-
| জিরা গুঁড়ো || ১/২ চা চামচ
|-
| গরম পানি || প্রয়োজনে
|-
| মরিচ গুঁড়ো ও জলপাই তেল (সাজানোর জন্য) || ইচ্ছামতো
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# সেদ্ধ ছোলা ঠান্ডা করে নিয়ে মিক্সারে দিন।
# এর সঙ্গে তিল বাটা, রসুন বাটা, লেবুর রস, লবণ, জিরা গুঁড়ো ও জলপাই তেল যোগ করুন।
# সব উপকরণ একসঙ্গে মিহি করে ভর্তা বানান। দরকার হলে অল্প গরম পানি যোগ করে ঘনতা ঠিক করুন।
# পেস্টটি একটি বাটিতে ঢেলে উপর থেকে কিছু জলপাই তেল ও মরিচ গুঁড়ো ছিটিয়ে দিন।
<span style=color:red;><center>'''পিটা বা তন্দুরি রুটির সঙ্গে পরিবেশন করুন।'''</center></span>
== পরামর্শ ==
* ছোলার খোসা ছাড়িয়ে নিলে হুমুস আরও মসৃণ হয়।
* তিল বাটার পরিবর্তে ভাজা তিল ও জলপাই তেল মিশিয়ে এটি বানানো যায়।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:পার্শ্বপদ]]
[[Category:মধ্যপ্রাচ্যের খাবার]]
9gga41sl95osiqur8jfyybq013fmxxq
84612
84611
2025-06-17T02:02:51Z
Mehedi Abedin
7113
84612
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ =পার্শ্বপদ
| পরিবেশন = ৪–৫ জন
| তৈরির সময় = ৩০ মিনিট
| কষ্টসাধ্য = ২
| খাদ্য শক্তি = উচ্চ
| টীকা = হুমুস মধ্যপ্রাচ্যের একটি জনপ্রিয় ছোলাবিষ্কৃত খাবার যা রুটি বা সবজির সঙ্গে খাওয়া হয়।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''হুমুস'''</big></center>
হুমুস একটি ঘন, মসৃণ এবং পুষ্টিকর পার্শ্বপদ যা সাধারণত রুটি, সবজি বা খবুজ জাতীয় পদের সঙ্গে খাওয়া হয়। এটি মূলত মধ্যপ্রাচ্যের প্রাচীন রান্নার অংশ হলেও এখন সারা বিশ্বেই জনপ্রিয়। ছোলা, তিল বাটা, রসুন ও জলপাই তেল মিশিয়ে তৈরি এই পদ স্বাদে ও পুষ্টিতে অতুলনীয়।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! নাম !! পরিমাণ
|-
| সেদ্ধ ছোলা || ১ কাপ
|-
| তিল বাটা (তাহিনি) || ৩ টেবিল চামচ
|-
| রসুন বাটা || ১ চা চামচ
|-
| লেবুর রস || ২ টেবিল চামচ
|-
| জলপাই তেল || ৩ টেবিল চামচ
|-
| লবণ || স্বাদমতো
|-
| জিরা গুঁড়ো || ১/২ চা চামচ
|-
| গরম পানি || প্রয়োজনে
|-
| মরিচ গুঁড়ো ও জলপাই তেল (সাজানোর জন্য) || ইচ্ছামতো
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# সেদ্ধ ছোলা ঠান্ডা করে নিয়ে মিক্সারে দিন।
# এর সঙ্গে তিল বাটা, রসুন বাটা, লেবুর রস, লবণ, জিরা গুঁড়ো ও জলপাই তেল যোগ করুন।
# সব উপকরণ একসঙ্গে মিহি করে ভর্তা বানান। দরকার হলে অল্প গরম পানি যোগ করে ঘনত্ব ঠিক করুন।
# পেস্টটি একটি বাটিতে ঢেলে উপর থেকে কিছু জলপাই তেল ও মরিচ গুঁড়ো ছিটিয়ে দিন।
<span style=color:red;><center>'''পিটা বা তন্দুরি রুটির সঙ্গে পরিবেশন করুন।'''</center></span>
== পরামর্শ ==
* ছোলার খোসা ছাড়িয়ে নিলে হুমুস আরও মসৃণ হয়।
* তিল বাটার পরিবর্তে ভাজা তিল ও জলপাই তেল মিশিয়ে এটি বানানো যায়।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:পার্শ্বপদ]]
[[Category:মধ্যপ্রাচ্যের খাবার]]
geahm555gqdytgu21qrpqjckj942wvl
84613
84612
2025-06-17T02:03:22Z
Mehedi Abedin
7113
84613
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ =পার্শ্বপদ
| পরিবেশন = ৪–৫ জন
| তৈরির সময় = ৩০ মিনিট
| কষ্টসাধ্য = ২
| খাদ্য শক্তি = উচ্চ
| টীকা = মধ্যপ্রাচ্যের একটি জনপ্রিয় ছোলাবিষ্কৃত খাবার যা রুটি বা সবজির সঙ্গে খাওয়া হয়।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''হুমুস'''</big></center>
হুমুস একটি ঘন, মসৃণ এবং পুষ্টিকর পার্শ্বপদ যা সাধারণত রুটি, সবজি বা খবুজ জাতীয় পদের সঙ্গে খাওয়া হয়। এটি মূলত মধ্যপ্রাচ্যের প্রাচীন রান্নার অংশ হলেও এখন সারা বিশ্বেই জনপ্রিয়। ছোলা, তিল বাটা, রসুন ও জলপাই তেল মিশিয়ে তৈরি এই পদ স্বাদে ও পুষ্টিতে অতুলনীয়।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! নাম !! পরিমাণ
|-
| সেদ্ধ ছোলা || ১ কাপ
|-
| তিল বাটা (তাহিনি) || ৩ টেবিল চামচ
|-
| রসুন বাটা || ১ চা চামচ
|-
| লেবুর রস || ২ টেবিল চামচ
|-
| জলপাই তেল || ৩ টেবিল চামচ
|-
| লবণ || স্বাদমতো
|-
| জিরা গুঁড়ো || ১/২ চা চামচ
|-
| গরম পানি || প্রয়োজনে
|-
| মরিচ গুঁড়ো ও জলপাই তেল (সাজানোর জন্য) || ইচ্ছামতো
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# সেদ্ধ ছোলা ঠান্ডা করে নিয়ে মিক্সারে দিন।
# এর সঙ্গে তিল বাটা, রসুন বাটা, লেবুর রস, লবণ, জিরা গুঁড়ো ও জলপাই তেল যোগ করুন।
# সব উপকরণ একসঙ্গে মিহি করে ভর্তা বানান। দরকার হলে অল্প গরম পানি যোগ করে ঘনত্ব ঠিক করুন।
# পেস্টটি একটি বাটিতে ঢেলে উপর থেকে কিছু জলপাই তেল ও মরিচ গুঁড়ো ছিটিয়ে দিন।
<span style=color:red;><center>'''পিটা বা তন্দুরি রুটির সঙ্গে পরিবেশন করুন।'''</center></span>
== পরামর্শ ==
* ছোলার খোসা ছাড়িয়ে নিলে হুমুস আরও মসৃণ হয়।
* তিল বাটার পরিবর্তে ভাজা তিল ও জলপাই তেল মিশিয়ে এটি বানানো যায়।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:পার্শ্বপদ]]
[[Category:মধ্যপ্রাচ্যের খাবার]]
kct1f2zklluviahkmnkd0jzd3ajfcvk
রন্ধনপ্রণালী:বাদাম শরবত
104
25506
84614
79442
2025-06-17T02:04:25Z
Mehedi Abedin
7113
84614
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = পানীয়
| পরিবেশন = ৪–৫ জন
| তৈরির সময় = ৩০ মিনিট
| কষ্টসাধ্য = ২
| খাদ্য শক্তি = উচ্চ
| টীকা = বাদাম শরবত একটি পুষ্টিকর ও সুস্বাদু পানীয় যা গরমে প্রশান্তি আনে এবং শরীরকে শক্তি জোগায়।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''বাদাম শরবত'''</big></center>
বাদাম শরবত হলো একপ্রকার স্বাস্থ্যকর ও রুচিকর পানীয় যা প্রধানত গরমকালীন দিনে শরীরকে ঠান্ডা রাখতে ও পুষ্টি জোগাতে ব্যবহৃত হয়। এতে থাকে দুধ, বাদাম এবং প্রাকৃতিক মিষ্টি উপাদান যা একত্রে একটি সমৃদ্ধ স্বাদ এবং পুষ্টিকর গুণ প্রদান করে। বাদাম শরবত শুধু স্বাদেই নয়, স্বাস্থ্য উপকারিতাতেও অনন্য।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! নাম !! পরিমাণ
|-
| কাজু বাদাম || ১/২ কাপ
|-
| কাঠবাদাম || ১/২ কাপ
|-
| দুধ || ১ লিটার
|-
| চিনি || ৪-৫ টেবিলচামচ (স্বাদমতো)
|-
| গোলাপ জল || ১ চা-চামচ
|-
| এলাচ গুঁড়ো || ১/২ চা-চামচ
|-
| জাফরান || কয়েকটি সুতোর পরিমাণ (ঐচ্ছিক)
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# প্রথমে কাজু ও কাঠবাদাম ২ ঘণ্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখুন।
# বাদামগুলো ছেঁকে নিয়ে খোসা ছাড়িয়ে নিন এবং সামান্য দুধ দিয়ে ব্লেন্ড করে কাই তৈরি করুন।
# একটি পাত্রে দুধ ফোটান এবং তাতে চিনি দিন। ভালোভাবে মিশিয়ে নিন।
# এরপর ধীরে ধীরে বাদামের কাই দিয়ে নাড়তে থাকুন।
# প্রায় ৫-৭ মিনিট হালকা আঁচে রান্না করুন যাতে বাদামের কাঁচা গন্ধ চলে যায়।
# এবার এতে গোলাপ জল, এলাচ গুঁড়ো এবং জাফরান দিয়ে মেশান।
# কিছুক্ষণ ঠান্ডা করে ফ্রিজে রেখে দিন। ঠান্ডা ঠান্ডা পরিবেশন করুন।
== পরিবেশন ==
বাদাম শরবত ঠান্ডা অবস্থায় পরিবেশন করলে সর্বোত্তম স্বাদ পাওয়া যায়। ইফতারি, অতিথি আপ্যায়ন বা গ্রীষ্মকালীন সময়ে সতেজতা হিসেবে এটি আদর্শ একটি পানীয়।
== পরামর্শ ==
* চাইলে চিনি বাদ দিয়ে মধু বা খেজুরের গুড় ব্যবহার করা যেতে পারে স্বাস্থ্যকর বিকল্প হিসেবে।
* আরও ঘন করতে দুধ ঘন করে নেয়া যেতে পারে।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:বাংলাদেশি পানীয়]]
[[Category:ঐতিহ্যবাহী শরবত]]
hcs9jauns7hqtu11s74wlwqbm8t4l2y
84615
84614
2025-06-17T02:05:03Z
Mehedi Abedin
7113
84615
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = পানীয়
| পরিবেশন = ৪–৫ জন
| তৈরির সময় = ৩০ মিনিট
| কষ্টসাধ্য = ২
| খাদ্য শক্তি = উচ্চ
| টীকা = বাদাম শরবত একটি পুষ্টিকর ও সুস্বাদু পানীয় যা গরমে প্রশান্তি আনে এবং শরীরকে শক্তি জোগায়।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''বাদাম শরবত'''</big></center>
বাদাম শরবত হলো একপ্রকার স্বাস্থ্যকর ও রুচিকর পানীয় যা প্রধানত গরমকালীন দিনে শরীরকে ঠান্ডা রাখতে ও পুষ্টি জোগাতে ব্যবহৃত হয়। এতে থাকে দুধ, বাদাম এবং প্রাকৃতিক মিষ্টি উপাদান যা একত্রে একটি সমৃদ্ধ স্বাদ এবং পুষ্টিকর গুণ প্রদান করে। বাদাম শরবত শুধু স্বাদেই নয়, স্বাস্থ্য উপকারিতাতেও অনন্য।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! নাম !! পরিমাণ
|-
| কাজু বাদাম || ১/২ কাপ
|-
| কাঠবাদাম || ১/২ কাপ
|-
| দুধ || ১ লিটার
|-
| চিনি || ৪-৫ টেবিলচামচ (স্বাদমতো)
|-
| গোলাপ জল || ১ চা-চামচ
|-
| এলাচ গুঁড়ো || ১/২ চা-চামচ
|-
| জাফরান || কয়েকটি সুতোর পরিমাণ (ঐচ্ছিক)
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# প্রথমে কাজু ও কাঠবাদাম ২ ঘণ্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখুন।
# বাদামগুলো ছেঁকে নিয়ে খোসা ছাড়িয়ে নিন এবং সামান্য দুধ দিয়ে ব্লেন্ড করে কাই তৈরি করুন।
# একটি পাত্রে দুধ ফোটান এবং তাতে চিনি দিন। ভালোভাবে মিশিয়ে নিন।
# এরপর ধীরে ধীরে বাদামের কাই দিয়ে নাড়তে থাকুন।
# প্রায় ৫-৭ মিনিট হালকা আঁচে রান্না করুন যাতে বাদামের কাঁচা গন্ধ চলে যায়।
# এবার এতে গোলাপ জল, এলাচ গুঁড়ো এবং জাফরান দিয়ে মেশান।
# কিছুক্ষণ ঠান্ডা করে ফ্রিজে রেখে দিন। ঠান্ডা ঠান্ডা পরিবেশন করুন।
<span style=color:red;><center>''' ঠান্ডা অবস্থায় পরিবেশন করুন।'''</center></span>
== পরামর্শ ==
* চাইলে চিনি বাদ দিয়ে মধু বা খেজুরের গুড় ব্যবহার করা যেতে পারে স্বাস্থ্যকর বিকল্প হিসেবে।
* আরও ঘন করতে দুধ ঘন করে নেয়া যেতে পারে।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:বাংলাদেশি পানীয়]]
[[Category:ঐতিহ্যবাহী শরবত]]
4ct0556qude2m0m7zjf575pz11cqejn
84616
84615
2025-06-17T02:06:21Z
Mehedi Abedin
7113
84616
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = পানীয়
| পরিবেশন = ৪–৫ জন
| তৈরির সময় = ৩০ মিনিট
| কষ্টসাধ্য = ২
| খাদ্য শক্তি = উচ্চ
| টীকা = পুষ্টিকর ও সুস্বাদু পানীয় যা গরমে প্রশান্তি আনে এবং শরীরের শক্তি জোগায়।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''বাদাম শরবত'''</big></center>
বাদাম শরবত হলো একপ্রকার স্বাস্থ্যকর ও রুচিকর পানীয় যা প্রধানত গ্রীষ্মকালীন দিনে শরীরকে ঠান্ডা রাখতে ও পুষ্টি জোগাতে ব্যবহৃত হয়। এতে থাকে দুধ, বাদাম এবং প্রাকৃতিক মিষ্টি উপাদান যা একত্রে একটি সমৃদ্ধ স্বাদ এবং পুষ্টিকর গুণ প্রদান করে।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! নাম !! পরিমাণ
|-
| কাজু বাদাম || ১/২ কাপ
|-
| কাঠবাদাম || ১/২ কাপ
|-
| দুধ || ১ লিটার
|-
| চিনি || ৪-৫ টেবিলচামচ (স্বাদমতো)
|-
| গোলাপ জল || ১ চা-চামচ
|-
| এলাচ গুঁড়ো || ১/২ চা-চামচ
|-
| জাফরান || কয়েকটি সুতোর পরিমাণ (ঐচ্ছিক)
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# প্রথমে কাজু ও কাঠবাদাম ২ ঘণ্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখুন।
# বাদামগুলো ছেঁকে নিয়ে খোসা ছাড়িয়ে নিন এবং সামান্য দুধ দিয়ে ব্লেন্ড করে কাই তৈরি করুন।
# একটি পাত্রে দুধ ফোটান এবং তাতে চিনি দিন। ভালোভাবে মিশিয়ে নিন।
# এরপর ধীরে ধীরে বাদামের কাই দিয়ে নাড়তে থাকুন।
# প্রায় ৫-৭ মিনিট হালকা আঁচে রান্না করুন যাতে বাদামের কাঁচা গন্ধ চলে যায়।
# এবার এতে গোলাপ জল, এলাচ গুঁড়ো এবং জাফরান দিয়ে মেশান।
# কিছুক্ষণ ঠান্ডা করে ফ্রিজে রেখে দিন। ঠান্ডা ঠান্ডা পরিবেশন করুন।
<span style=color:red;><center>''' ঠান্ডা অবস্থায় পরিবেশন করুন।'''</center></span>
== পরামর্শ ==
* চাইলে চিনি বাদ দিয়ে মধু বা খেজুরের গুড় ব্যবহার করা যেতে পারে স্বাস্থ্যকর বিকল্প হিসেবে।
* আরও ঘন করতে দুধ ঘন করে নেয়া যেতে পারে।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:বাংলাদেশি পানীয়]]
[[Category:ঐতিহ্যবাহী শরবত]]
rf05iw96ks3jnbyg1ijakugap3g2ae5
রন্ধনপ্রণালী:জাফরানি শরবত
104
25507
84618
83728
2025-06-17T02:16:32Z
Mehedi Abedin
7113
84618
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = পানীয়
| পরিবেশন = ৪ জন
| তৈরির সময় = ২০ মিনিট
| কষ্টসাধ্য = ১
| চিত্র = Jafrani_Sharbat.jpg
| খাদ্য শক্তি = মাঝারি
| টীকা = জাফরানি শরবত একটি সুগন্ধযুক্ত পানীয় যা উৎসব কিংবা অতিথি আপ্যায়নে বিলাসবহুল পরিবেশ এনে দেয়।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''জাফরানি শরবত'''</big></center>
জাফরানি শরবত একটি বিলাসবহুল ও সুস্বাদু পানীয়, যা সাধারণত উৎসব, অতিথি আপ্যায়ন কিংবা বিশেষ উপলক্ষে পরিবেশিত হয়। জাফরানের মনোহর সুবাস এবং দুধের মিশেলে এই শরবত এক অনন্য স্বাদ এনে দেয়। এটি ঠান্ডা পরিবেশন করলে মন ও শরীর উভয়েই প্রশান্তি অনুভব করে।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! নাম !! পরিমাণ
|-
| দুধ || ১ লিটার
|-
| জাফরান || ৮–১০টি সুতোর পরিমাণ
|-
| চিনি || ৫ টেবিলচামচ (স্বাদমতো)
|-
| গোলাপ জল || ১ চা-চামচ
|-
| এলাচ গুঁড়ো || ১/২ চা-চামচ
|-
| পেস্তা ও কাজু কুচি || ইচ্ছামতো (সাজানোর জন্য)
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# প্রথমে অল্প পরিমাণ কুসুম গরম দুধে জাফরান ভিজিয়ে ১০–১৫ মিনিট রেখে দিন।
# দুধ একটি পাত্রে নিয়ে চুলায় দিন এবং ফুটিয়ে নিন।
# দুধ ফুটে উঠলে চিনি দিন ও ভালোভাবে মিশিয়ে নিন।
# এরপর ভেজানো জাফরান সহ সেই দুধে গোলাপ জল ও এলাচ গুঁড়ো মিশিয়ে দিন।
# কিছুক্ষণ মৃদু আঁচে রান্না করুন যাতে সুগন্ধ ও রঙ ভালোভাবে মিশে যায়।
# চুলা থেকে নামিয়ে ঠান্ডা করে ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করুন।
# ঠান্ডা হলে গ্লাসে ঢেলে উপরে পেস্তা ও কাজু কুচি ছড়িয়ে পরিবেশন করুন।
== পরিবেশন ==
জাফরানি শরবত ঠান্ডা পরিবেশন করলে সর্বোচ্চ স্বাদ পাওয়া যায়। অতিথি আপ্যায়ন কিংবা রমজানের ইফতারিতে এটি এক রাজকীয় সংযোজন।
== পরামর্শ ==
* দুধকে একটু ঘন করে নিলে শরবতের স্বাদ আরও গভীর হয়।
* চিনি কমাতে চাইলে খেজুরের গুড় বা মধু ব্যবহার করা যেতে পারে।
== স্বাস্থ্য উপকারিতা ও ঝুঁকি ==
জাফরান প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর যা মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়ায় ও মানসিক চাপ কমায়। দুধ শরীরের জন্য ক্যালসিয়াম ও প্রোটিনের উৎস। তবে অতিরিক্ত চিনি ব্যবহার করলে তা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে, তাই পরিমিত ব্যবহারেই সুস্থতা বজায় রাখা উচিত।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:বাংলাদেশি পানীয়]]
[[Category:ঐতিহ্যবাহী শরবত]]
1rlxi1ymckw9u0qzujncf8l2j1rohvu
84619
84618
2025-06-17T02:16:43Z
Mehedi Abedin
7113
84619
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = পানীয়
| পরিবেশন = ৪ জন
| তৈরির সময় = ২০ মিনিট
| কষ্টসাধ্য = ১
| চিত্র = Jafrani_Sharbat.jpg
| খাদ্য শক্তি = মাঝারি
| টীকা = জাফরানি শরবত একটি সুগন্ধযুক্ত পানীয় যা উৎসব কিংবা অতিথি আপ্যায়নে বিলাসবহুল পরিবেশ এনে দেয়।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''জাফরানি শরবত'''</big></center>
জাফরানি শরবত একটি বিলাসবহুল ও সুস্বাদু পানীয়, যা সাধারণত উৎসব, অতিথি আপ্যায়ন কিংবা বিশেষ উপলক্ষে পরিবেশিত হয়। জাফরানের মনোহর সুবাস এবং দুধের মিশেলে এই শরবত এক অনন্য স্বাদ এনে দেয়। এটি ঠান্ডা পরিবেশন করলে মন ও শরীর উভয়েই প্রশান্তি অনুভব করে।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! নাম !! পরিমাণ
|-
| দুধ || ১ লিটার
|-
| জাফরান || ৮–১০টি সুতোর পরিমাণ
|-
| চিনি || ৫ টেবিলচামচ (স্বাদমতো)
|-
| গোলাপ জল || ১ চা-চামচ
|-
| এলাচ গুঁড়ো || ১/২ চা-চামচ
|-
| পেস্তা ও কাজু কুচি || ইচ্ছামতো (সাজানোর জন্য)
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# প্রথমে অল্প পরিমাণ কুসুম গরম দুধে জাফরান ভিজিয়ে ১০–১৫ মিনিট রেখে দিন।
# দুধ একটি পাত্রে নিয়ে চুলায় দিন এবং ফুটিয়ে নিন।
# দুধ ফুটে উঠলে চিনি দিন ও ভালোভাবে মিশিয়ে নিন।
# এরপর ভেজানো জাফরান সহ সেই দুধে গোলাপ জল ও এলাচ গুঁড়ো মিশিয়ে দিন।
# কিছুক্ষণ মৃদু আঁচে রান্না করুন যাতে সুগন্ধ ও রঙ ভালোভাবে মিশে যায়।
# চুলা থেকে নামিয়ে ঠান্ডা করে ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করুন।
# ঠান্ডা হলে গ্লাসে ঢেলে উপরে পেস্তা ও কাজু কুচি ছড়িয়ে পরিবেশন করুন।
== পরিবেশন ==
জাফরানি শরবত ঠান্ডা পরিবেশন করলে সর্বোচ্চ স্বাদ পাওয়া যায়। অতিথি আপ্যায়ন কিংবা রমজানের ইফতারিতে এটি এক রাজকীয় সংযোজন।
== পরামর্শ ==
* দুধকে একটু ঘন করে নিলে শরবতের স্বাদ আরও গভীর হয়।
* চিনি কমাতে চাইলে খেজুরের গুড় বা মধু ব্যবহার করা যেতে পারে।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:বাংলাদেশি পানীয়]]
[[Category:ঐতিহ্যবাহী শরবত]]
2ib477af383vbqa4wd002ily6usyabp
84620
84619
2025-06-17T02:17:09Z
Mehedi Abedin
7113
84620
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = পানীয়
| পরিবেশন = ৪ জন
| তৈরির সময় = ২০ মিনিট
| কষ্টসাধ্য = ১
| চিত্র = Jafrani_Sharbat.jpg
| খাদ্য শক্তি = মাঝারি
| টীকা = জাফরানি শরবত একটি সুগন্ধযুক্ত পানীয় যা উৎসব কিংবা অতিথি আপ্যায়নে বিলাসবহুল পরিবেশ এনে দেয়।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''জাফরানি শরবত'''</big></center>
জাফরানি শরবত একটি বিলাসবহুল ও সুস্বাদু পানীয়, যা সাধারণত উৎসব, অতিথি আপ্যায়ন কিংবা বিশেষ উপলক্ষে পরিবেশিত হয়। জাফরানের মনোহর সুবাস এবং দুধের মিশেলে এই শরবত এক অনন্য স্বাদ এনে দেয়। এটি ঠান্ডা পরিবেশন করলে মন ও শরীর উভয়েই প্রশান্তি অনুভব করে।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! নাম !! পরিমাণ
|-
| দুধ || ১ লিটার
|-
| জাফরান || ৮–১০টি সুতোর পরিমাণ
|-
| চিনি || ৫ টেবিলচামচ (স্বাদমতো)
|-
| গোলাপ জল || ১ চা-চামচ
|-
| এলাচ গুঁড়ো || ১/২ চা-চামচ
|-
| পেস্তা ও কাজু কুচি || ইচ্ছামতো (সাজানোর জন্য)
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# প্রথমে অল্প পরিমাণ কুসুম গরম দুধে জাফরান ভিজিয়ে ১০–১৫ মিনিট রেখে দিন।
# দুধ একটি পাত্রে নিয়ে চুলায় দিন এবং ফুটিয়ে নিন।
# দুধ ফুটে উঠলে চিনি দিন ও ভালোভাবে মিশিয়ে নিন।
# এরপর ভেজানো জাফরান সহ সেই দুধে গোলাপ জল ও এলাচ গুঁড়ো মিশিয়ে দিন।
# কিছুক্ষণ মৃদু আঁচে রান্না করুন যাতে সুগন্ধ ও রঙ ভালোভাবে মিশে যায়।
# চুলা থেকে নামিয়ে ঠান্ডা করে ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করুন।
# ঠান্ডা হলে গ্লাসে ঢেলে উপরে পেস্তা ও কাজু কুচি ছড়িয়ে পরিবেশন করুন।
<span style=color:red;><center>'''ঠান্ডা পরিবেশন করুন।'''</center></span>
== পরামর্শ ==
* দুধকে একটু ঘন করে নিলে শরবতের স্বাদ আরও গভীর হয়।
* চিনি কমাতে চাইলে খেজুরের গুড় বা মধু ব্যবহার করা যেতে পারে।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:বাংলাদেশি পানীয়]]
[[Category:ঐতিহ্যবাহী শরবত]]
o5897a2yruvo6hnmlchi1r5hneva0a1
84621
84620
2025-06-17T02:17:29Z
Mehedi Abedin
7113
84621
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = পানীয়
| পরিবেশন = ৪ জন
| তৈরির সময় = ২০ মিনিট
| কষ্টসাধ্য = ১
| চিত্র = Jafrani_Sharbat.jpg
| খাদ্য শক্তি = মাঝারি
| টীকা = সুগন্ধযুক্ত পানীয় যা উৎসব কিংবা অতিথি আপ্যায়নে বিলাসবহুল পরিবেশ এনে দেয়।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''জাফরানি শরবত'''</big></center>
জাফরানি শরবত একটি বিলাসবহুল ও সুস্বাদু পানীয়, যা সাধারণত উৎসব, অতিথি আপ্যায়ন কিংবা বিশেষ উপলক্ষে পরিবেশিত হয়। জাফরানের মনোহর সুবাস এবং দুধের মিশেলে এই শরবত এক অনন্য স্বাদ এনে দেয়। এটি ঠান্ডা পরিবেশন করলে মন ও শরীর উভয়েই প্রশান্তি অনুভব করে।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! নাম !! পরিমাণ
|-
| দুধ || ১ লিটার
|-
| জাফরান || ৮–১০টি সুতোর পরিমাণ
|-
| চিনি || ৫ টেবিলচামচ (স্বাদমতো)
|-
| গোলাপ জল || ১ চা-চামচ
|-
| এলাচ গুঁড়ো || ১/২ চা-চামচ
|-
| পেস্তা ও কাজু কুচি || ইচ্ছামতো (সাজানোর জন্য)
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# প্রথমে অল্প পরিমাণ কুসুম গরম দুধে জাফরান ভিজিয়ে ১০–১৫ মিনিট রেখে দিন।
# দুধ একটি পাত্রে নিয়ে চুলায় দিন এবং ফুটিয়ে নিন।
# দুধ ফুটে উঠলে চিনি দিন ও ভালোভাবে মিশিয়ে নিন।
# এরপর ভেজানো জাফরান সহ সেই দুধে গোলাপ জল ও এলাচ গুঁড়ো মিশিয়ে দিন।
# কিছুক্ষণ মৃদু আঁচে রান্না করুন যাতে সুগন্ধ ও রঙ ভালোভাবে মিশে যায়।
# চুলা থেকে নামিয়ে ঠান্ডা করে ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করুন।
# ঠান্ডা হলে গ্লাসে ঢেলে উপরে পেস্তা ও কাজু কুচি ছড়িয়ে পরিবেশন করুন।
<span style=color:red;><center>'''ঠান্ডা পরিবেশন করুন।'''</center></span>
== পরামর্শ ==
* দুধকে একটু ঘন করে নিলে শরবতের স্বাদ আরও গভীর হয়।
* চিনি কমাতে চাইলে খেজুরের গুড় বা মধু ব্যবহার করা যেতে পারে।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:বাংলাদেশি পানীয়]]
[[Category:ঐতিহ্যবাহী শরবত]]
4mvmcalx2hhpuksu8epbsipivwj1f7e
84622
84621
2025-06-17T02:18:06Z
Mehedi Abedin
7113
84622
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = পানীয়
| পরিবেশন = ৪ জন
| তৈরির সময় = ২০ মিনিট
| কষ্টসাধ্য = ১
| চিত্র = Jafrani_Sharbat.jpg
| খাদ্য শক্তি = মাঝারি
| টীকা = সুগন্ধযুক্ত পানীয় যা উৎসব কিংবা অতিথি আপ্যায়নে বিলাসবহুল পরিবেশ এনে দেয়।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''জাফরানি শরবত'''</big></center>
জাফরানি শরবত একটি বিলাসবহুল ও সুস্বাদু পানীয়, যা সাধারণত উৎসব, অতিথি আপ্যায়ন কিংবা বিশেষ উপলক্ষে পরিবেশিত হয়। জাফরানের মনোহর সুবাস এবং দুধের মিশেলে এই শরবত এক অনন্য স্বাদ এনে দেয়। এটি ঠান্ডা পরিবেশন করলে মন ও শরীর উভয়েই প্রশান্তি অনুভব করে।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! নাম !! পরিমাণ
|-
| দুধ || ১ লিটার
|-
| জাফরান || ৮–১০টি সুতোর পরিমাণ
|-
| চিনি || ৫ টেবিল চামচ (স্বাদমতো)
|-
| গোলাপ জল || ১ চা-চামচ
|-
| এলাচ গুঁড়ো || ১/২ চা-চামচ
|-
| পেস্তা ও কাজু কুচি || ইচ্ছামতো (সাজানোর জন্য)
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# প্রথমে অল্প পরিমাণ কুসুম গরম দুধে জাফরান ভিজিয়ে ১০–১৫ মিনিট রেখে দিন।
# দুধ একটি পাত্রে নিয়ে চুলায় দিন এবং ফুটিয়ে নিন।
# দুধ ফুটে উঠলে চিনি দিন ও ভালোভাবে মিশিয়ে নিন।
# এরপর ভেজানো জাফরান সহ সেই দুধে গোলাপ জল ও এলাচ গুঁড়ো মিশিয়ে দিন।
# কিছুক্ষণ মৃদু আঁচে রান্না করুন যাতে সুগন্ধ ও রঙ ভালোভাবে মিশে যায়।
# চুলা থেকে নামিয়ে ঠান্ডা করে ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করুন।
# ঠান্ডা হলে গ্লাসে ঢেলে উপরে পেস্তা ও কাজু কুচি ছড়িয়ে পরিবেশন করুন।
<span style=color:red;><center>'''ঠান্ডা পরিবেশন করুন।'''</center></span>
== পরামর্শ ==
* দুধকে একটু ঘন করে নিলে শরবতের স্বাদ আরও গভীর হয়।
* চিনি কমাতে চাইলে খেজুরের গুড় বা মধু ব্যবহার করা যেতে পারে।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:বাংলাদেশি পানীয়]]
[[Category:ঐতিহ্যবাহী শরবত]]
39lbpwrthu69ls6zh4rxgesij1unoep
84624
84622
2025-06-17T02:19:04Z
Mehedi Abedin
7113
84624
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = পানীয়
| পরিবেশন = ৪ জন
| তৈরির সময় = ২০ মিনিট
| কষ্টসাধ্য = ১
| চিত্র = Jafrani_Sharbat.jpg
| খাদ্য শক্তি = মাঝারি
| টীকা = সুগন্ধযুক্ত পানীয় যা উৎসব কিংবা অতিথি আপ্যায়নে বিলাসবহুল পরিবেশ এনে দেয়।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''জাফরানি শরবত'''</big></center>
জাফরানি শরবত একটি বিলাসবহুল ও সুস্বাদু পানীয়, যা সাধারণত উৎসব, অতিথি আপ্যায়ন কিংবা বিশেষ উপলক্ষে পরিবেশিত হয়। জাফরানের মনোহর সুবাস এবং দুধের মিশেলে এই শরবত এক অনন্য স্বাদ এনে দেয়। এটি ঠান্ডা পরিবেশন করলে মন ও শরীর উভয়েই প্রশান্তি অনুভব করে।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! নাম !! পরিমাণ
|-
| দুধ || ১ লিটার
|-
| জাফরান || ৮–১০টি সুতোর পরিমাণ
|-
| চিনি || ৫ টেবিল চামচ (স্বাদমতো)
|-
| গোলাপ জল || ১ চা-চামচ
|-
| এলাচ গুঁড়ো || ১/২ চা-চামচ
|-
| পেস্তা ও কাজু কুচি || ইচ্ছামতো (সাজানোর জন্য)
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# প্রথমে অল্প পরিমাণ কুসুম গরম দুধে জাফরান ভিজিয়ে ১০–১৫ মিনিট রেখে দিন।
# দুধ একটি পাত্রে নিয়ে চুলায় দিন এবং ফুটিয়ে নিন।
# দুধ ফুটে উঠলে চিনি দিন ও ভালোভাবে মিশিয়ে নিন।
# এরপর ভেজানো জাফরান সহ সেই দুধে গোলাপ জল ও এলাচ গুঁড়ো মিশিয়ে দিন।
# কিছুক্ষণ মৃদু আঁচে রান্না করুন যাতে সুগন্ধ ও রঙ ভালোভাবে মিশে যায়।
# চুলা থেকে নামিয়ে ঠান্ডা করে ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করুন।
# ঠান্ডা হলে গ্লাসে ঢেলে উপরে পেস্তা ও কাজু কুচি ছড়িয়ে পরিবেশন করুন।
<span style=color:red;><center>'''ঠান্ডা পরিবেশন করুন।'''</center></span>
== পরামর্শ ==
* দুধকে একটু ঘন করে নিলে শরবতের স্বাদ আরও গভীর হয়।
* চিনি কমাতে চাইলে খেজুরের গুড় বা মধু ব্যবহার করা যেতে পারে।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:বাংলাদেশী পানীয়]]
[[Category:ঐতিহ্যবাহী শরবত]]
oavmgdicq2n4t7pxv0y8t9uc9ub4swl
রন্ধনপ্রণালী:চিকেন জালি কাবাব
104
25515
84626
79462
2025-06-17T02:20:04Z
Mehedi Abedin
7113
84626
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ =
| পরিবেশন = ৫–৬ জন
| তৈরির সময় = ১ ঘণ্টা
| কষ্টসাধ্য = ৪
| খাদ্য শক্তি = উচ্চ
| টীকা = চিকেন জালি কাবাব একটি রাজকীয় স্বাদের সুস্বাদু খাবার যা বাহ্যিকভাবে জালির মতো দেখতে এবং ভেতরে থাকে মসলাদার মুরগির পুর।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''চিকেন জালি কাবাব'''</big></center>
চিকেন জালি কাবাব একটি চমৎকার নকশা ও স্বাদের সংমিশ্রণ। এটি সাধারণত অতিথি আপ্যায়ন বা উৎসবের সময় পরিবেশন করা হয়। বাহিরের পাতলা ডিমের জালি এবং ভিতরের মশলাদার মুরগির পুর একে অনন্য করে তোলে।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! নাম !! পরিমাণ
|-
| মুরগির কিমা || ৫০০ গ্রাম
|-
| পেঁয়াজ কুচি || ১ কাপ
|-
| আদা-রসুন বাটা || ২ টেবিলচামচ
|-
| কাঁচা মরিচ কুচি || ১ টেবিলচামচ
|-
| ধনেপাতা কুচি || ১/৪ কাপ
|-
| গরম মসলা গুঁড়ো || ১ চা-চামচ
|-
| লবণ || স্বাদমতো
|-
| ডিম || ৪টি
|-
| কর্ণফ্লাওয়ার || ২ টেবিলচামচ
|-
| তেল || ভাজার জন্য
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# প্রথমে কড়াইয়ে অল্প তেলে পেঁয়াজ ভেজে নিন। এর সঙ্গে মুরগির কিমা, আদা-রসুন বাটা, কাঁচা মরিচ ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে ভেজে কিমা রান্না করে নিন।
# এরপর ধনেপাতা ও গরম মসলা গুঁড়ো দিয়ে কিছুক্ষণ নেড়ে ঠান্ডা হতে দিন।
# একে একে কর্ণফ্লাওয়ার ও একটি ডিম দিয়ে মিশিয়ে কিমা মিশ্রণটি ভালোভাবে গাঁথা করে নিন।
# এবার বাকি ডিমগুলো ফেটে নিয়ে পাতলা করে ডিমের জালি তৈরি করুন (নন-স্টিক তাওয়ায় অল্প তেল দিয়ে ফেটানো ডিম ঢেলে পাতলা করে রান্না করুন)।
# তৈরি ডিমের পাতলার মাঝখানে পুর দিয়ে রোলের মতো পেঁচিয়ে নিন। প্রয়োজন হলে কর্ণফ্লাওয়ার জল দিয়ে মুখ বন্ধ করুন।
# সব কাবাব এভাবে তৈরি করে গরম তেলে লালচে করে ভেজে তুলুন।
== পরিবেশন ==
চিকেন জালি কাবাব গরম গরম পরিবেশন করুন পেঁয়াজ ও টমেটো টুকরো, ধনে পাতার চাটনি বা টক দইয়ের সঙ্গে। এটি নাশতা বা ইফতারে জমজমাট একটি পদ।
== পরামর্শ ==
* পুর ঠান্ডা না হলে ডিমের জালিতে মোড়ানো কঠিন হতে পারে।
* ডিমের পাতলা জালি ফাটলে নতুন ডিম দিয়ে আবার ঢেকে নিতে পারেন।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:কাবাব]]
08j0a6bodk1g3phxh7gr95yx971a46n
84627
84626
2025-06-17T02:20:44Z
Mehedi Abedin
7113
84627
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ =
| পরিবেশন = ৫–৬ জন
| তৈরির সময় = ১ ঘণ্টা
| কষ্টসাধ্য = ৪
| খাদ্য শক্তি = উচ্চ
| টীকা = চিকেন জালি কাবাব একটি রাজকীয় স্বাদের সুস্বাদু খাবার যা বাহ্যিকভাবে জালির মতো দেখতে এবং ভেতরে থাকে মসলাদার মুরগির পুর।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''চিকেন জালি কাবাব'''</big></center>
চিকেন জালি কাবাব একটি চমৎকার নকশা ও স্বাদের সংমিশ্রণ। এটি সাধারণত অতিথি আপ্যায়ন বা উৎসবের সময় পরিবেশন করা হয়। বাহিরের পাতলা ডিমের জালি এবং ভিতরের মশলাদার মুরগির পুর একে অনন্য করে তোলে।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! নাম !! পরিমাণ
|-
| মুরগির কিমা || ৫০০ গ্রাম
|-
| পেঁয়াজ কুচি || ১ কাপ
|-
| আদা-রসুন বাটা || ২ টেবিলচামচ
|-
| কাঁচা মরিচ কুচি || ১ টেবিলচামচ
|-
| ধনেপাতা কুচি || ১/৪ কাপ
|-
| গরম মসলা গুঁড়ো || ১ চা-চামচ
|-
| লবণ || স্বাদমতো
|-
| ডিম || ৪টি
|-
| কর্ণফ্লাওয়ার || ২ টেবিলচামচ
|-
| তেল || ভাজার জন্য
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# প্রথমে কড়াইয়ে অল্প তেলে পেঁয়াজ ভেজে নিন। এর সঙ্গে মুরগির কিমা, আদা-রসুন বাটা, কাঁচা মরিচ ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে ভেজে কিমা রান্না করে নিন।
# এরপর ধনেপাতা ও গরম মসলা গুঁড়ো দিয়ে কিছুক্ষণ নেড়ে ঠান্ডা হতে দিন।
# একে একে কর্ণফ্লাওয়ার ও একটি ডিম দিয়ে মিশিয়ে কিমা মিশ্রণটি ভালোভাবে গাঁথা করে নিন।
# এবার বাকি ডিমগুলো ফেটে নিয়ে পাতলা করে ডিমের জালি তৈরি করুন (নন-স্টিক তাওয়ায় অল্প তেল দিয়ে ফেটানো ডিম ঢেলে পাতলা করে রান্না করুন)।
# তৈরি ডিমের পাতলার মাঝখানে পুর দিয়ে রোলের মতো পেঁচিয়ে নিন। প্রয়োজন হলে কর্ণফ্লাওয়ার জল দিয়ে মুখ বন্ধ করুন।
# সব কাবাব এভাবে তৈরি করে গরম তেলে লালচে করে ভেজে তুলুন।
=<span style=color:red;><center>'''গরম গরম পরিবেশন করুন পেঁয়াজ ও টমেটো টুকরো, ধনে পাতার চাটনি বা টক দইয়ের সঙ্গে।'''</center></span>
== পরামর্শ ==
* পুর ঠান্ডা না হলে ডিমের জালিতে মোড়ানো কঠিন হতে পারে।
* ডিমের পাতলা জালি ফাটলে নতুন ডিম দিয়ে আবার ঢেকে নিতে পারেন।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:কাবাব]]
o37gpuzq37uyxcyfdr175w2ncqcx1qh
84628
84627
2025-06-17T02:21:38Z
Mehedi Abedin
7113
84628
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ =
| পরিবেশন = ৫–৬ জন
| তৈরির সময় = ১ ঘণ্টা
| কষ্টসাধ্য = ৪
| খাদ্য শক্তি = উচ্চ
| টীকা = চিকেন জালি কাবাব একটি রাজকীয় স্বাদের সুস্বাদু খাবার যা বাহ্যিকভাবে জালির মতো দেখতে এবং ভেতরে থাকে মসলাদার মুরগির পুর।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''চিকেন জালি কাবাব'''</big></center>
চিকেন জালি কাবাব একটি চমৎকার নকশা ও স্বাদের সংমিশ্রণ। এটি সাধারণত অতিথি আপ্যায়ন বা উৎসবের সময় পরিবেশন করা হয়। বাহিরের পাতলা ডিমের জালি এবং ভিতরের মশলাদার মুরগির পুর একে অনন্য করে তোলে।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! নাম !! পরিমাণ
|-
| মুরগির কিমা || ৫০০ গ্রাম
|-
| পেঁয়াজ কুচি || ১ কাপ
|-
| আদা-রসুন বাটা || ২ টেবিলচামচ
|-
| কাঁচা মরিচ কুচি || ১ টেবিলচামচ
|-
| ধনেপাতা কুচি || ১/৪ কাপ
|-
| গরম মসলা গুঁড়ো || ১ চা-চামচ
|-
| লবণ || স্বাদমতো
|-
| ডিম || ৪টি
|-
| কর্ণফ্লাওয়ার || ২ টেবিলচামচ
|-
| তেল || ভাজার জন্য
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# প্রথমে কড়াইয়ে অল্প তেলে পেঁয়াজ ভেজে নিন। এর সঙ্গে মুরগির কিমা, আদা-রসুন বাটা, কাঁচা মরিচ ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে ভেজে কিমা রান্না করে নিন।
# এরপর ধনেপাতা ও গরম মসলা গুঁড়ো দিয়ে কিছুক্ষণ নেড়ে ঠান্ডা হতে দিন।
# একে একে কর্ণফ্লাওয়ার ও একটি ডিম দিয়ে মিশিয়ে কিমা মিশ্রণটি ভালোভাবে গাঁথা করে নিন।
# এবার বাকি ডিমগুলো ফেটে নিয়ে পাতলা করে ডিমের জালি তৈরি করুন (নন-স্টিক তাওয়ায় অল্প তেল দিয়ে ফেটানো ডিম ঢেলে পাতলা করে রান্না করুন)।
# তৈরি ডিমের পাতলার মাঝখানে পুর দিয়ে রোলের মতো পেঁচিয়ে নিন। প্রয়োজন হলে কর্ণফ্লাওয়ারের পানি দিয়ে মুখ বন্ধ করুন।
# সব কাবাব এভাবে তৈরি করে গরম তেলে লালচে করে ভেজে তুলুন।
<span style=color:red;><center>'''গরম গরম পরিবেশন করুন পেঁয়াজ ও টমেটো টুকরো, ধনে পাতার চাটনি বা টক দইয়ের সঙ্গে।'''</center></span>
== পরামর্শ ==
* পুর ঠান্ডা না হলে ডিমের জালিতে মোড়ানো কঠিন হতে পারে।
* ডিমের পাতলা জালি ফাটলে নতুন ডিম দিয়ে আবার ঢেকে নিতে পারেন।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:কাবাব]]
4xhnsayxo0flqfo6gcf0wu6ow3xz1lk
84629
84628
2025-06-17T02:21:55Z
Mehedi Abedin
7113
84629
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ =
| পরিবেশন = ৫–৬ জন
| তৈরির সময় = ১ ঘণ্টা
| কষ্টসাধ্য = ৪
| খাদ্য শক্তি = উচ্চ
| টীকা = চিকেন জালি কাবাব একটি রাজকীয় স্বাদের সুস্বাদু খাবার যা বাহ্যিকভাবে জালির মতো দেখতে এবং ভেতরে থাকে মসলাদার মুরগির পুর।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''চিকেন জালি কাবাব'''</big></center>
চিকেন জালি কাবাব একটি চমৎকার নকশা ও স্বাদের সংমিশ্রণ। এটি সাধারণত অতিথি আপ্যায়ন বা উৎসবের সময় পরিবেশন করা হয়। বাহিরের পাতলা ডিমের জালি এবং ভিতরের মশলাদার মুরগির পুর একে অনন্য করে তোলে।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! নাম !! পরিমাণ
|-
| মুরগির কিমা || ৫০০ গ্রাম
|-
| পেঁয়াজ কুচি || ১ কাপ
|-
| আদা-রসুন বাটা || ২ টেবিল চামচ
|-
| কাঁচা মরিচ কুচি || ১ টেবিল চামচ
|-
| ধনেপাতা কুচি || ১/৪ কাপ
|-
| গরম মসলা গুঁড়ো || ১ চা-চামচ
|-
| লবণ || স্বাদমতো
|-
| ডিম || ৪টি
|-
| কর্ণফ্লাওয়ার || ২ টেবিলচামচ
|-
| তেল || ভাজার জন্য
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# প্রথমে কড়াইয়ে অল্প তেলে পেঁয়াজ ভেজে নিন। এর সঙ্গে মুরগির কিমা, আদা-রসুন বাটা, কাঁচা মরিচ ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে ভেজে কিমা রান্না করে নিন।
# এরপর ধনেপাতা ও গরম মসলা গুঁড়ো দিয়ে কিছুক্ষণ নেড়ে ঠান্ডা হতে দিন।
# একে একে কর্ণফ্লাওয়ার ও একটি ডিম দিয়ে মিশিয়ে কিমা মিশ্রণটি ভালোভাবে গাঁথা করে নিন।
# এবার বাকি ডিমগুলো ফেটে নিয়ে পাতলা করে ডিমের জালি তৈরি করুন (নন-স্টিক তাওয়ায় অল্প তেল দিয়ে ফেটানো ডিম ঢেলে পাতলা করে রান্না করুন)।
# তৈরি ডিমের পাতলার মাঝখানে পুর দিয়ে রোলের মতো পেঁচিয়ে নিন। প্রয়োজন হলে কর্ণফ্লাওয়ারের পানি দিয়ে মুখ বন্ধ করুন।
# সব কাবাব এভাবে তৈরি করে গরম তেলে লালচে করে ভেজে তুলুন।
<span style=color:red;><center>'''গরম গরম পরিবেশন করুন পেঁয়াজ ও টমেটো টুকরো, ধনে পাতার চাটনি বা টক দইয়ের সঙ্গে।'''</center></span>
== পরামর্শ ==
* পুর ঠান্ডা না হলে ডিমের জালিতে মোড়ানো কঠিন হতে পারে।
* ডিমের পাতলা জালি ফাটলে নতুন ডিম দিয়ে আবার ঢেকে নিতে পারেন।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:কাবাব]]
c62idhjnmzfaqhxflzq6l8o4kgj1yfd
84630
84629
2025-06-17T02:22:17Z
Mehedi Abedin
7113
84630
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ =
| পরিবেশন = ৫–৬ জন
| তৈরির সময় = ১ ঘণ্টা
| কষ্টসাধ্য = ৪
| খাদ্য শক্তি = উচ্চ
| টীকা = রাজকীয় স্বাদের সুস্বাদু খাবার যা বাহ্যিকভাবে জালির মতো দেখতে এবং ভেতরে থাকে মসলাদার মুরগির পুর।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''চিকেন জালি কাবাব'''</big></center>
চিকেন জালি কাবাব একটি চমৎকার নকশা ও স্বাদের সংমিশ্রণ। এটি সাধারণত অতিথি আপ্যায়ন বা উৎসবের সময় পরিবেশন করা হয়। বাহিরের পাতলা ডিমের জালি এবং ভিতরের মশলাদার মুরগির পুর একে অনন্য করে তোলে।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! নাম !! পরিমাণ
|-
| মুরগির কিমা || ৫০০ গ্রাম
|-
| পেঁয়াজ কুচি || ১ কাপ
|-
| আদা-রসুন বাটা || ২ টেবিল চামচ
|-
| কাঁচা মরিচ কুচি || ১ টেবিল চামচ
|-
| ধনেপাতা কুচি || ১/৪ কাপ
|-
| গরম মসলা গুঁড়ো || ১ চা-চামচ
|-
| লবণ || স্বাদমতো
|-
| ডিম || ৪টি
|-
| কর্ণফ্লাওয়ার || ২ টেবিলচামচ
|-
| তেল || ভাজার জন্য
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# প্রথমে কড়াইয়ে অল্প তেলে পেঁয়াজ ভেজে নিন। এর সঙ্গে মুরগির কিমা, আদা-রসুন বাটা, কাঁচা মরিচ ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে ভেজে কিমা রান্না করে নিন।
# এরপর ধনেপাতা ও গরম মসলা গুঁড়ো দিয়ে কিছুক্ষণ নেড়ে ঠান্ডা হতে দিন।
# একে একে কর্ণফ্লাওয়ার ও একটি ডিম দিয়ে মিশিয়ে কিমা মিশ্রণটি ভালোভাবে গাঁথা করে নিন।
# এবার বাকি ডিমগুলো ফেটে নিয়ে পাতলা করে ডিমের জালি তৈরি করুন (নন-স্টিক তাওয়ায় অল্প তেল দিয়ে ফেটানো ডিম ঢেলে পাতলা করে রান্না করুন)।
# তৈরি ডিমের পাতলার মাঝখানে পুর দিয়ে রোলের মতো পেঁচিয়ে নিন। প্রয়োজন হলে কর্ণফ্লাওয়ারের পানি দিয়ে মুখ বন্ধ করুন।
# সব কাবাব এভাবে তৈরি করে গরম তেলে লালচে করে ভেজে তুলুন।
<span style=color:red;><center>'''গরম গরম পরিবেশন করুন পেঁয়াজ ও টমেটো টুকরো, ধনে পাতার চাটনি বা টক দইয়ের সঙ্গে।'''</center></span>
== পরামর্শ ==
* পুর ঠান্ডা না হলে ডিমের জালিতে মোড়ানো কঠিন হতে পারে।
* ডিমের পাতলা জালি ফাটলে নতুন ডিম দিয়ে আবার ঢেকে নিতে পারেন।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:কাবাব]]
3us0gsogfq9wna1ky1h9x55x6isvuo8
রন্ধনপ্রনালী:টঙ্কা তোরানি
0
25533
84597
79533
2025-06-17T01:49:29Z
Mehedi Abedin
7113
84597
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = পানীয়
| পরিবেশন = পরিমান অনুসারে, কমপক্ষে ৭-৮ জন।
| তৈরির সময় = প্রায় ২৪ ঘণ্টা অর্থাৎ এক দিন
| কষ্টসাধ্য = ৪
| চিত্র =
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''টঙ্কা তোরানি'''</big></center>
টঙ্কা তোরানি ভারতের ওড়িশা রাজ্যে জনপ্রিয় একটি গ্রীষ্মকালীন শীতল পানীয়। ভাতকে জারিয়ে নিয়ে তৈরি করা এই পানীয় পুরীর জগন্নাথ দেবের মহাপ্রসাদ হিসাবে নিবেদন হয়, তেমনই পুরীর রথযাত্রার সময়ে ভক্তরাও এটি পান করেন। এ ছাড়া নানা উৎসব, অনুষ্ঠান এমনকি, নববর্ষেও টঙ্কা তোরানি পান করার চল রয়েছে ওড়িশায়। বিশেষ করে গ্রীষ্মকালে ওড়িশার মানুষ বাড়িতে বানিয়ে নেন ওই পানীয়। টঙ্কা তোরানির স্বাদে টক-ঝালের মিশ্রন পাওয়া যায়। এতে চিনি যোগ করা হয়না। প্রতি চুমুকের স্বাথে এক সুতেজ গন্ধ পাওয়া যায় যা গ্রীষ্মকালের গরম থেকে শরীরকে তাজা ও চনমনে রাখতে সাহায্য করে। যেহেতু জারণ করে তৈরি, তাই এই পানীয়ে থাকে ভরপুর প্রোবায়োটিক, যা পেটের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। এ ছাড়া ওই শরবতের বাকি উপাদানগুলিও হজমশক্তি বৃদ্ধি করে।
==উপকরন==
{| class="wikitable"
! উপকরন !! পরিমান
|-
| ভাত || ১ কাপ
|-
| দই || ৩ টেবিল চামচ
|-
| আমআদা || দেড় গাট মাপ
|-
| লেবু পাতা || ৮-১০টি
|-
| কারিপাতা || ১৪-১৫টি
|-
| কাঁচালঙ্কা || ৪-৫টি
|-
| লেবুর চাকতি || ৫-৬টি (আড়াআড়ি করে কাটা)
|-
| লেবু || অর্ধেকটি
|-
| ভাজা জিরে গুঁড়ো || ১/২ টেবিল চামচ
|-
| নুন || স্বাদমতো
|-
| জল || প্রয়োজনমতো
|}
== রন্ধনপ্রণালী ==
# একটি পরিষ্কার মাটির বা যেকোনও পাত্রে ভাত জলে ভিজিয়ে ঢেকে রাখুন অন্তত ২০ ঘণ্টা।
# সময় হলে ঢাকনা খুলে পরিষ্কার হাতে জলের সঙ্গে ভাত ভালোভাবে চটকে নিন, তারপর জল ছেঁকে নিন। একেই বলা হয় তোরানি
# এবার হামানদিস্তায় আমআদা, কাঁচালঙ্কা, ৫-৬টি লেবু পাতা ও কারিপাতা দিয়ে ভালোভাবে ছেঁচে নিন।
# তোরানির মধ্যে প্রথমে দই মেশান এবং ভালোভাবে গুলে নিন।
# এরপর তাতে ছেঁচে রাখা মশলা, অর্ধেক লেবুর রস, ভাজা জিরে গুঁড়ো, লেবুর চাকতিগুলো এবং বাকি লেবুপাতা দিয়ে দিন।
# পরিষ্কার হাতে তোরানির মধ্যে দেওয়া সমস্ত উপকরণ ভালোভাবে চেপে মেশান যাতে সুগন্ধ পানীয়ে ভালোভাবে মিশে যায়।
# প্রয়োজনে পরিমাণ মতো জল দিন।<span style=color:red;><center>'''মাটির ভাঁড়ে ঠান্ডা ঠান্ডা পরিবেশন করুন টঙ্কা তোরানি'''</center></span>
{{বর্ণানুক্রমিক|ট}}
[[বিষয়শ্রেণী:রন্ধনপ্রণালী]]
[[বিষয়শ্রেণী:পানীয়]]
kvf8jsgr0wdigolw5cqa9qe3th0hjnr
রন্ধনপ্রণালী:চিকেন শাসলিক
104
25571
84631
79633
2025-06-17T02:23:14Z
Mehedi Abedin
7113
84631
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ =
| পরিবেশন = ৪–৫ জন
| তৈরির সময় = ১ ঘণ্টা
| কষ্টসাধ্য = ৩
| খাদ্য শক্তি = মাঝারি
| টীকা = চিকেন শাসলিক একটি রঙিন ও সুস্বাদু পদ যা মূলত মুরগি, সবজি ও মসলা দিয়ে কাঠিতে গেঁথে ভাঁজা হয়।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''চিকেন শাসলিক'''</big></center>
চিকেন শাসলিক মূলত একটি রঙিন ও লোভনীয় নোনতা পদ যা অতিথি আপ্যায়ন, উৎসব কিংবা ইফতারিতে দারুণ জনপ্রিয়। এতে ব্যবহৃত হয় কোমল মুরগির মাংস, টক-ঝাল স্বাদের মসলা এবং নানা রঙের সবজি। কাঠিতে গাঁথা অবস্থায় ভাজা বা রোস্ট করে এটি পরিবেশন করা হয়।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! নাম !! পরিমাণ
|-
| মুরগির মাংস (হাড়হীন, ছোট টুকরো) || ৫০০ গ্রাম
|-
| ক্যাপসিকাম (লাল, সবুজ, হলুদ) || ১ কাপ (চৌকো টুকরো)
|-
| পেঁয়াজ || ২টি (চৌকো টুকরো)
|-
| টমেটো || ১টি (চৌকো টুকরো)
|-
| আদা-রসুন বাটা || ১ টেবিলচামচ
|-
| টক দই || ১/২ কাপ
|-
| লেবুর রস || ২ টেবিলচামচ
|-
| মরিচ গুঁড়ো || ১ চা-চামচ
|-
| গরম মসলা গুঁড়ো || ১/২ চা-চামচ
|-
| গোলমরিচ গুঁড়ো || ১/২ চা-চামচ
|-
| লবণ || স্বাদমতো
|-
| তেল || ২ টেবিলচামচ (মিশ্রণের জন্য) + ভাজার জন্য
|-
| কাঠি || কয়েকটি (পানি দিয়ে ভিজিয়ে নেওয়া)
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# প্রথমে মুরগির টুকরোগুলো ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন।
# একটি পাত্রে টক দই, আদা-রসুন বাটা, লেবুর রস, মরিচ গুঁড়ো, গোলমরিচ, গরম মসলা, লবণ ও তেল দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন।
# এতে মুরগির টুকরোগুলো মিশিয়ে ঢেকে ১ ঘণ্টা ফ্রিজে রেখে দিন।
# কাঠিতে একে একে মুরগি, ক্যাপসিকাম, পেঁয়াজ, টমেটো গেঁথে নিন।
# তাওয়ায় অল্প তেল গরম করে মাঝারি আঁচে প্রতিটি দিক ভালোভাবে ভেজে নিন। চাইলে চুলার আগুনে বা চুলার ওপরে রোস্ট করেও নিতে পারেন।
== পরিবেশন ==
চিকেন শাসলিক গরম গরম পরিবেশন করুন রুটি, পরোটা অথবা পোলাওয়ের সঙ্গে। পাশে রাখতে পারেন টক দই, কাচা সালাদ বা ধনেপাতা-পুদিনা পাতার চাটনি।
== পরামর্শ ==
* কাঠিগুলো রান্নার আগে ১৫ মিনিট পানিতে ভিজিয়ে নিলে পোড়ার আশঙ্কা কমে।
* মুরগির টুকরো যাতে বেশি বড় না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখুন—তাহলে ভালোভাবে রান্না হবে।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:চিকেন পদ]]
[[Category:ঐতিহ্যবাহী খাবার]]
m5he3mcntzojzcmdgxf1879rueq3lyz
84632
84631
2025-06-17T02:23:46Z
Mehedi Abedin
7113
84632
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ =
| পরিবেশন = ৪–৫ জন
| তৈরির সময় = ১ ঘণ্টা
| কষ্টসাধ্য = ৩
| খাদ্য শক্তি = মাঝারি
| টীকা = চিকেন শাসলিক একটি রঙিন ও সুস্বাদু পদ যা মূলত মুরগি, সবজি ও মসলা দিয়ে কাঠিতে গেঁথে ভাঁজা হয়।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''চিকেন শাসলিক'''</big></center>
চিকেন শাসলিক মূলত একটি রঙিন ও লোভনীয় নোনতা পদ যা অতিথি আপ্যায়ন, উৎসব কিংবা ইফতারিতে দারুণ জনপ্রিয়। এতে ব্যবহৃত হয় কোমল মুরগির মাংস, টক-ঝাল স্বাদের মসলা এবং নানা রঙের সবজি। কাঠিতে গাঁথা অবস্থায় ভাজা বা রোস্ট করে এটি পরিবেশন করা হয়।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! নাম !! পরিমাণ
|-
| মুরগির মাংস (হাড়হীন, ছোট টুকরো) || ৫০০ গ্রাম
|-
| ক্যাপসিকাম (লাল, সবুজ, হলুদ) || ১ কাপ (চৌকো টুকরো)
|-
| পেঁয়াজ || ২টি (চৌকো টুকরো)
|-
| টমেটো || ১টি (চৌকো টুকরো)
|-
| আদা-রসুন বাটা || ১ টেবিলচামচ
|-
| টক দই || ১/২ কাপ
|-
| লেবুর রস || ২ টেবিলচামচ
|-
| মরিচ গুঁড়ো || ১ চা-চামচ
|-
| গরম মসলা গুঁড়ো || ১/২ চা-চামচ
|-
| গোলমরিচ গুঁড়ো || ১/২ চা-চামচ
|-
| লবণ || স্বাদমতো
|-
| তেল || ২ টেবিলচামচ (মিশ্রণের জন্য) + ভাজার জন্য
|-
| কাঠি || কয়েকটি (পানি দিয়ে ভিজিয়ে নেওয়া)
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# প্রথমে মুরগির টুকরোগুলো ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন।
# একটি পাত্রে টক দই, আদা-রসুন বাটা, লেবুর রস, মরিচ গুঁড়ো, গোলমরিচ, গরম মসলা, লবণ ও তেল দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন।
# এতে মুরগির টুকরোগুলো মিশিয়ে ঢেকে ১ ঘণ্টা ফ্রিজে রেখে দিন।
# কাঠিতে একে একে মুরগি, ক্যাপসিকাম, পেঁয়াজ, টমেটো গেঁথে নিন।
# তাওয়ায় অল্প তেল গরম করে মাঝারি আঁচে প্রতিটি দিক ভালোভাবে ভেজে নিন। চাইলে চুলার আগুনে বা চুলার ওপরে রোস্ট করেও নিতে পারেন।
<span style=color:red;><center>''' গরম গরম পরিবেশন করুন রুটি, পরোটা অথবা পোলাওয়ের সঙ্গে।'''</center></span>
== পরামর্শ ==
* কাঠিগুলো রান্নার আগে ১৫ মিনিট পানিতে ভিজিয়ে নিলে পোড়ার আশঙ্কা কমে।
* মুরগির টুকরো যাতে বেশি বড় না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখুন—তাহলে ভালোভাবে রান্না হবে।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:চিকেন পদ]]
[[Category:ঐতিহ্যবাহী খাবার]]
qtphuxrec808jsbquk0qml7mffjrpdu
84633
84632
2025-06-17T02:24:31Z
Mehedi Abedin
7113
84633
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ =
| পরিবেশন = ৪–৫ জন
| তৈরির সময় = ১ ঘণ্টা
| কষ্টসাধ্য = ৩
| খাদ্য শক্তি = মাঝারি
| টীকা = সুস্বাদু পদ যা মূলত মুরগি, সবজি ও মসলা দিয়ে কাঠিতে গেঁথে ভাজা হয়।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''চিকেন শাসলিক'''</big></center>
চিকেন শাসলিক মূলত একটি লোভনীয় নোনতা পদ যা অতিথি আপ্যায়ন, উৎসব কিংবা ইফতারিতে দারুণ জনপ্রিয়। এতে ব্যবহৃত হয় নরম মুরগির মাংস, টক-ঝাল স্বাদের মসলা এবং নানা রঙের সবজি। কাঠিতে গাঁথা অবস্থায় ভেজে বা রোস্ট করে এটি পরিবেশন করা হয়।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! নাম !! পরিমাণ
|-
| মুরগির মাংস (হাড়হীন, ছোট টুকরো) || ৫০০ গ্রাম
|-
| ক্যাপসিকাম (লাল, সবুজ, হলুদ) || ১ কাপ (চৌকো টুকরো)
|-
| পেঁয়াজ || ২টি (চৌকো টুকরো)
|-
| টমেটো || ১টি (চৌকো টুকরো)
|-
| আদা-রসুন বাটা || ১ টেবিলচামচ
|-
| টক দই || ১/২ কাপ
|-
| লেবুর রস || ২ টেবিলচামচ
|-
| মরিচ গুঁড়ো || ১ চা-চামচ
|-
| গরম মসলা গুঁড়ো || ১/২ চা-চামচ
|-
| গোলমরিচ গুঁড়ো || ১/২ চা-চামচ
|-
| লবণ || স্বাদমতো
|-
| তেল || ২ টেবিলচামচ (মিশ্রণের জন্য) + ভাজার জন্য
|-
| কাঠি || কয়েকটি (পানি দিয়ে ভিজিয়ে নেওয়া)
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# প্রথমে মুরগির টুকরোগুলো ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন।
# একটি পাত্রে টক দই, আদা-রসুন বাটা, লেবুর রস, মরিচ গুঁড়ো, গোলমরিচ, গরম মসলা, লবণ ও তেল দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন।
# এতে মুরগির টুকরোগুলো মিশিয়ে ঢেকে ১ ঘণ্টা ফ্রিজে রেখে দিন।
# কাঠিতে একে একে মুরগি, ক্যাপসিকাম, পেঁয়াজ, টমেটো গেঁথে নিন।
# তাওয়ায় অল্প তেল গরম করে মাঝারি আঁচে প্রতিটি দিক ভালোভাবে ভেজে নিন। চাইলে চুলার আগুনে বা চুলার ওপরে রোস্ট করেও নিতে পারেন।
<span style=color:red;><center>''' গরম গরম পরিবেশন করুন রুটি, পরোটা অথবা পোলাওয়ের সঙ্গে।'''</center></span>
== পরামর্শ ==
* কাঠিগুলো রান্নার আগে ১৫ মিনিট পানিতে ভিজিয়ে নিলে পোড়ার আশঙ্কা কমে।
* মুরগির টুকরো যাতে বেশি বড় না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখুন—তাহলে ভালোভাবে রান্না হবে।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:চিকেন পদ]]
[[Category:ঐতিহ্যবাহী খাবার]]
7832wf0fem3q7wrg4lpfj9xrj5ksoso
84634
84633
2025-06-17T02:25:05Z
Mehedi Abedin
7113
84634
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ =
| পরিবেশন = ৪–৫ জন
| তৈরির সময় = ১ ঘণ্টা
| কষ্টসাধ্য = ৩
| খাদ্য শক্তি = মাঝারি
| টীকা = সুস্বাদু পদ যা মূলত মুরগি, সবজি ও মসলা দিয়ে কাঠিতে গেঁথে ভাজা হয়।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''চিকেন শাসলিক'''</big></center>
চিকেন শাসলিক মূলত একটি লোভনীয় নোনতা পদ যা অতিথি আপ্যায়ন, উৎসব কিংবা ইফতারিতে দারুণ জনপ্রিয়। এতে ব্যবহৃত হয় নরম মুরগির মাংস, টক-ঝাল স্বাদের মসলা এবং নানা রঙের সবজি। কাঠিতে গাঁথা অবস্থায় ভেজে বা রোস্ট করে এটি পরিবেশন করা হয়।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! নাম !! পরিমাণ
|-
| মুরগির মাংস (হাড়হীন, ছোট টুকরো) || ৫০০ গ্রাম
|-
| ক্যাপসিকাম (লাল, সবুজ, হলুদ) || ১ কাপ (চৌকো টুকরো)
|-
| পেঁয়াজ || ২টি (চৌকো টুকরো)
|-
| টমেটো || ১টি (চৌকো টুকরো)
|-
| আদা-রসুন বাটা || ১ টেবিল চামচ
|-
| টক দই || ১/২ কাপ
|-
| লেবুর রস || ২ টেবিল চামচ
|-
| মরিচ গুঁড়ো || ১ চা-চামচ
|-
| গরম মসলা গুঁড়ো || ১/২ চা-চামচ
|-
| গোলমরিচ গুঁড়ো || ১/২ চা-চামচ
|-
| লবণ || স্বাদমতো
|-
| তেল || ২ টেবিল চামচ (মিশ্রণের জন্য) + ভাজার জন্য
|-
| কাঠি || কয়েকটি (পানি দিয়ে ভিজিয়ে নেওয়া)
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# প্রথমে মুরগির টুকরোগুলো ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন।
# একটি পাত্রে টক দই, আদা-রসুন বাটা, লেবুর রস, মরিচ গুঁড়ো, গোলমরিচ, গরম মসলা, লবণ ও তেল দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন।
# এতে মুরগির টুকরোগুলো মিশিয়ে ঢেকে ১ ঘণ্টা ফ্রিজে রেখে দিন।
# কাঠিতে একে একে মুরগি, ক্যাপসিকাম, পেঁয়াজ, টমেটো গেঁথে নিন।
# তাওয়ায় অল্প তেল গরম করে মাঝারি আঁচে প্রতিটি দিক ভালোভাবে ভেজে নিন। চাইলে চুলার আগুনে বা চুলার ওপরে রোস্ট করেও নিতে পারেন।
<span style=color:red;><center>''' গরম গরম পরিবেশন করুন রুটি, পরোটা অথবা পোলাওয়ের সঙ্গে।'''</center></span>
== পরামর্শ ==
* কাঠিগুলো রান্নার আগে ১৫ মিনিট পানিতে ভিজিয়ে নিলে পোড়ার আশঙ্কা কমে।
* মুরগির টুকরো যাতে বেশি বড় না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখুন—তাহলে ভালোভাবে রান্না হবে।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:চিকেন পদ]]
[[Category:ঐতিহ্যবাহী খাবার]]
ouzcic0ayqzj4rp3jkabqj6p2s9j52d
রন্ধনপ্রণালী:পেলকা
104
25722
84567
80227
2025-06-17T01:08:01Z
Mehedi Abedin
7113
84567
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = শাকসবজি পদ
| পরিবেশন = ৪–৫ জন
| তৈরির সময় = ১ ঘণ্টা
| কষ্টসাধ্য = ৩
| খাদ্য শক্তি = মাঝারি
| টীকা = কচুপাতা, সরিষা বাটা ও বিভিন্ন মসলা দিয়ে রান্না করা রংপুর অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী ও সাদাসিধে এক স্বাদময় পদ যা স্থানীয়ভাবে 'পেলকা' নামে পরিচিত।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''পেলকা'''</big></center>
রংপুর অঞ্চলের গ্রামীণ ঘরের অতি পরিচিত এক ঐতিহ্যবাহী খাবার হলো 'পেলকা'। এই পদটির মূল উপাদান হলো কচুপাতা, যা গ্রামবাংলার বাড়ির উঠানে সহজলভ্য। সরিষা বাটা, লবণ, কাঁচামরিচ এবং কচুপাতার সামঞ্জস্যপূর্ণ সংমিশ্রণে তৈরি এই পদটির স্বাদ মাটির ঘ্রাণ মাখা। এটি সাধারণত ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করা হয় এবং গরম ভাতের সঙ্গে এর ঝাঝালো স্বাদ মন জয় করে।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! উপাদান !! পরিমাণ
|-
| কচুপাতা (তরুণ ও কোমল) || ৮–১০টি
|-
| সরিষা বাটা || ৩ টেবিল চামচ
|-
| কাঁচা মরিচ || ৬–৮টি (ঝাল স্বাদ অনুযায়ী)
|-
| রসুন বাটা || ১ টেবিল চামচ
|-
| পেঁয়াজ কুচি || ১ কাপ
|-
| লবণ || পরিমাণমতো
|-
| হলুদের গুঁড়া || ১/২ চা চামচ
|-
| তেল || ৩–৪ টেবিল চামচ
|-
| শুকনো মরিচ || ২–৩টি (ভাজা)
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# প্রথমে কচুপাতাগুলো ভালোভাবে ধুয়ে নিন এবং পাতলা করে কুচি করে নিন। খেয়াল রাখতে হবে, যেন পাতা পুরনো না হয় কারণ পুরনো কচুপাতা খাওয়ার পর গলা চুলকায়।
# একটি বড় পাত্রে কুচানো কচুপাতা, সরিষা বাটা, রসুন বাটা, কাঁচা মরিচ, হলুদ ও লবণ একসাথে মিশিয়ে ১৫–২০ মিনিট রেখে দিন, যাতে কচুর কাঁচা গন্ধ কিছুটা কমে যায়।
# একটি মোটা তলায় হাঁড়িতে তেল গরম করে তাতে পেঁয়াজ কুচি দিন এবং হালকা বাদামি করে ভেজে নিন।
# এরপর মসলা মিশ্রিত কচুপাতা দিয়ে দিন এবং ভালোভাবে নাড়তে থাকুন। অল্প আঁচে ঢেকে ৩০–৪০ মিনিট রান্না করুন, মাঝে মাঝে নাড়তে ভুলবেন না যাতে নিচে লেগে না যায়।
# রান্না শেষে শুকনো মরিচ ভেজে উপরে ছিটিয়ে পরিবেশন করুন।
== পরিবেশন ==
পেলকা গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করলে এর স্বাদ অনেক গুণ বেড়ে যায়। এটি কোনো ঝোল বা ডাল ছাড়াও আলাদা করে পরিবেশন করা যায় এবং এটি একান্তই গ্রামীণ স্বাদে তৈরি এক দারুণ পদ।
== পরামর্শ ==
* কোমল কচুপাতা বেছে নিন যাতে গলা চুলকানো সমস্যা না হয়। চাইলে পাতাগুলো হালকা করে সিদ্ধ করে নিলেও উপকার পাওয়া যায়।
* বেশি ঝাল পছন্দ হলে কাঁচা মরিচের পরিমাণ বাড়িয়ে নিতে পারেন।
* যদি কারও সরিষা বাটার স্বাদ অপছন্দ হয়, তবে সরিষা পরিমাণে কম দিয়ে শুরু করা ভালো।
== স্বাস্থ্য উপকারিতা ও ঝুঁকি ==
কচুপাতায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন, ক্যালসিয়াম ও ফাইবার। এটি রক্তশূন্যতা দূর করতে সাহায্য করে এবং হজমে সহায়তা করে। তবে সরিষা ও কচু একসাথে খেলে অনেকের গ্যাসের সমস্যা হতে পারে, সেক্ষেত্রে সামান্য রসুন ব্যবহার এই সমস্যা কিছুটা লাঘব করে।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
q0syeb8wktc1xa4y07lcrxgm8olq913
84568
84567
2025-06-17T01:08:12Z
Mehedi Abedin
7113
84568
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = শাকসবজি পদ
| পরিবেশন = ৪–৫ জন
| তৈরির সময় = ১ ঘণ্টা
| কষ্টসাধ্য = ৩
| খাদ্য শক্তি = মাঝারি
| টীকা = কচুপাতা, সরিষা বাটা ও বিভিন্ন মসলা দিয়ে রান্না করা রংপুর অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী ও সাদাসিধে এক স্বাদময় পদ যা স্থানীয়ভাবে 'পেলকা' নামে পরিচিত।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''পেলকা'''</big></center>
রংপুর অঞ্চলের গ্রামীণ ঘরের অতি পরিচিত এক ঐতিহ্যবাহী খাবার হলো 'পেলকা'। এই পদটির মূল উপাদান হলো কচুপাতা, যা গ্রামবাংলার বাড়ির উঠানে সহজলভ্য। সরিষা বাটা, লবণ, কাঁচামরিচ এবং কচুপাতার সামঞ্জস্যপূর্ণ সংমিশ্রণে তৈরি এই পদটির স্বাদ মাটির ঘ্রাণ মাখা। এটি সাধারণত ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করা হয় এবং গরম ভাতের সঙ্গে এর ঝাঝালো স্বাদ মন জয় করে।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! উপাদান !! পরিমাণ
|-
| কচুপাতা (তরুণ ও কোমল) || ৮–১০টি
|-
| সরিষা বাটা || ৩ টেবিল চামচ
|-
| কাঁচা মরিচ || ৬–৮টি (ঝাল স্বাদ অনুযায়ী)
|-
| রসুন বাটা || ১ টেবিল চামচ
|-
| পেঁয়াজ কুচি || ১ কাপ
|-
| লবণ || পরিমাণমতো
|-
| হলুদের গুঁড়া || ১/২ চা চামচ
|-
| তেল || ৩–৪ টেবিল চামচ
|-
| শুকনো মরিচ || ২–৩টি (ভাজা)
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# প্রথমে কচুপাতাগুলো ভালোভাবে ধুয়ে নিন এবং পাতলা করে কুচি করে নিন। খেয়াল রাখতে হবে, যেন পাতা পুরনো না হয় কারণ পুরনো কচুপাতা খাওয়ার পর গলা চুলকায়।
# একটি বড় পাত্রে কুচানো কচুপাতা, সরিষা বাটা, রসুন বাটা, কাঁচা মরিচ, হলুদ ও লবণ একসাথে মিশিয়ে ১৫–২০ মিনিট রেখে দিন, যাতে কচুর কাঁচা গন্ধ কিছুটা কমে যায়।
# একটি মোটা তলায় হাঁড়িতে তেল গরম করে তাতে পেঁয়াজ কুচি দিন এবং হালকা বাদামি করে ভেজে নিন।
# এরপর মসলা মিশ্রিত কচুপাতা দিয়ে দিন এবং ভালোভাবে নাড়তে থাকুন। অল্প আঁচে ঢেকে ৩০–৪০ মিনিট রান্না করুন, মাঝে মাঝে নাড়তে ভুলবেন না যাতে নিচে লেগে না যায়।
# রান্না শেষে শুকনো মরিচ ভেজে উপরে ছিটিয়ে পরিবেশন করুন।
== পরিবেশন ==
পেলকা গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করলে এর স্বাদ অনেক গুণ বেড়ে যায়। এটি কোনো ঝোল বা ডাল ছাড়াও আলাদা করে পরিবেশন করা যায় এবং এটি একান্তই গ্রামীণ স্বাদে তৈরি এক দারুণ পদ।
== পরামর্শ ==
* কোমল কচুপাতা বেছে নিন যাতে গলা চুলকানো সমস্যা না হয়। চাইলে পাতাগুলো হালকা করে সিদ্ধ করে নিলেও উপকার পাওয়া যায়।
* বেশি ঝাল পছন্দ হলে কাঁচা মরিচের পরিমাণ বাড়িয়ে নিতে পারেন।
* যদি কারও সরিষা বাটার স্বাদ অপছন্দ হয়, তবে সরিষা পরিমাণে কম দিয়ে শুরু করা ভালো।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
khtc4mq34tl35rv858ps5y8pyrf517p
84569
84568
2025-06-17T01:08:24Z
Mehedi Abedin
7113
84569
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = শাকসবজি পদ
| পরিবেশন = ৪–৫ জন
| তৈরির সময় = ১ ঘণ্টা
| কষ্টসাধ্য = ৩
| খাদ্য শক্তি = মাঝারি
| টীকা = কচুপাতা, সরিষা বাটা ও বিভিন্ন মসলা দিয়ে রান্না করা রংপুর অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী ও সাদাসিধে এক স্বাদময় পদ যা স্থানীয়ভাবে 'পেলকা' নামে পরিচিত।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''পেলকা'''</big></center>
রংপুর অঞ্চলের গ্রামীণ ঘরের অতি পরিচিত এক ঐতিহ্যবাহী খাবার হলো 'পেলকা'। এই পদটির মূল উপাদান হলো কচুপাতা, যা গ্রামবাংলার বাড়ির উঠানে সহজলভ্য। সরিষা বাটা, লবণ, কাঁচামরিচ এবং কচুপাতার সামঞ্জস্যপূর্ণ সংমিশ্রণে তৈরি এই পদটির স্বাদ মাটির ঘ্রাণ মাখা। এটি সাধারণত ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করা হয় এবং গরম ভাতের সঙ্গে এর ঝাঝালো স্বাদ মন জয় করে।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! উপাদান !! পরিমাণ
|-
| কচুপাতা (তরুণ ও কোমল) || ৮–১০টি
|-
| সরিষা বাটা || ৩ টেবিল চামচ
|-
| কাঁচা মরিচ || ৬–৮টি (ঝাল স্বাদ অনুযায়ী)
|-
| রসুন বাটা || ১ টেবিল চামচ
|-
| পেঁয়াজ কুচি || ১ কাপ
|-
| লবণ || পরিমাণমতো
|-
| হলুদের গুঁড়া || ১/২ চা চামচ
|-
| তেল || ৩–৪ টেবিল চামচ
|-
| শুকনো মরিচ || ২–৩টি (ভাজা)
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# প্রথমে কচুপাতাগুলো ভালোভাবে ধুয়ে নিন এবং পাতলা করে কুচি করে নিন। খেয়াল রাখতে হবে, যেন পাতা পুরনো না হয় কারণ পুরনো কচুপাতা খাওয়ার পর গলা চুলকায়।
# একটি বড় পাত্রে কুচানো কচুপাতা, সরিষা বাটা, রসুন বাটা, কাঁচা মরিচ, হলুদ ও লবণ একসাথে মিশিয়ে ১৫–২০ মিনিট রেখে দিন, যাতে কচুর কাঁচা গন্ধ কিছুটা কমে যায়।
# একটি মোটা তলায় হাঁড়িতে তেল গরম করে তাতে পেঁয়াজ কুচি দিন এবং হালকা বাদামি করে ভেজে নিন।
# এরপর মসলা মিশ্রিত কচুপাতা দিয়ে দিন এবং ভালোভাবে নাড়তে থাকুন। অল্প আঁচে ঢেকে ৩০–৪০ মিনিট রান্না করুন, মাঝে মাঝে নাড়তে ভুলবেন না যাতে নিচে লেগে না যায়।
# রান্না শেষে শুকনো মরিচ ভেজে উপরে ছিটিয়ে পরিবেশন করুন।
== পরামর্শ ==
* কোমল কচুপাতা বেছে নিন যাতে গলা চুলকানো সমস্যা না হয়। চাইলে পাতাগুলো হালকা করে সিদ্ধ করে নিলেও উপকার পাওয়া যায়।
* বেশি ঝাল পছন্দ হলে কাঁচা মরিচের পরিমাণ বাড়িয়ে নিতে পারেন।
* যদি কারও সরিষা বাটার স্বাদ অপছন্দ হয়, তবে সরিষা পরিমাণে কম দিয়ে শুরু করা ভালো।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
han741koxxhgvwsvyd0vzdpt2yeerof
84570
84569
2025-06-17T01:08:38Z
Mehedi Abedin
7113
84570
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = শাকসবজি পদ
| পরিবেশন = ৪–৫ জন
| তৈরির সময় = ১ ঘণ্টা
| কষ্টসাধ্য = ৩
| খাদ্য শক্তি = মাঝারি
| টীকা = কচুপাতা, সরিষা বাটা ও বিভিন্ন মসলা দিয়ে রান্না করা রংপুর অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী ও সাদাসিধে এক স্বাদময় পদ যা স্থানীয়ভাবে 'পেলকা' নামে পরিচিত।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''পেলকা'''</big></center>
রংপুর অঞ্চলের গ্রামীণ ঘরের অতি পরিচিত এক ঐতিহ্যবাহী খাবার হলো 'পেলকা'। এই পদটির মূল উপাদান হলো কচুপাতা, যা গ্রামবাংলার বাড়ির উঠানে সহজলভ্য। সরিষা বাটা, লবণ, কাঁচামরিচ এবং কচুপাতার সামঞ্জস্যপূর্ণ সংমিশ্রণে তৈরি এই পদটির স্বাদ মাটির ঘ্রাণ মাখা। এটি সাধারণত ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করা হয় এবং গরম ভাতের সঙ্গে এর ঝাঝালো স্বাদ মন জয় করে।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! উপাদান !! পরিমাণ
|-
| কচুপাতা (তরুণ ও কোমল) || ৮–১০টি
|-
| সরিষা বাটা || ৩ টেবিল চামচ
|-
| কাঁচা মরিচ || ৬–৮টি (ঝাল স্বাদ অনুযায়ী)
|-
| রসুন বাটা || ১ টেবিল চামচ
|-
| পেঁয়াজ কুচি || ১ কাপ
|-
| লবণ || পরিমাণমতো
|-
| হলুদের গুঁড়া || ১/২ চা চামচ
|-
| তেল || ৩–৪ টেবিল চামচ
|-
| শুকনো মরিচ || ২–৩টি (ভাজা)
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# প্রথমে কচুপাতাগুলো ভালোভাবে ধুয়ে নিন এবং পাতলা করে কুচি করে নিন। খেয়াল রাখতে হবে, যেন পাতা পুরনো না হয় কারণ পুরনো কচুপাতা খাওয়ার পর গলা চুলকায়।
# একটি বড় পাত্রে কুচানো কচুপাতা, সরিষা বাটা, রসুন বাটা, কাঁচা মরিচ, হলুদ ও লবণ একসাথে মিশিয়ে ১৫–২০ মিনিট রেখে দিন, যাতে কচুর কাঁচা গন্ধ কিছুটা কমে যায়।
# একটি মোটা তলায় হাঁড়িতে তেল গরম করে তাতে পেঁয়াজ কুচি দিন এবং হালকা বাদামি করে ভেজে নিন।
# এরপর মসলা মিশ্রিত কচুপাতা দিয়ে দিন এবং ভালোভাবে নাড়তে থাকুন। অল্প আঁচে ঢেকে ৩০–৪০ মিনিট রান্না করুন, মাঝে মাঝে নাড়তে ভুলবেন না যাতে নিচে লেগে না যায়।
<span style=color:red;><center>'''রান্না শেষে শুকনো মরিচ ভেজে উপরে ছিটিয়ে পরিবেশন করুন।'''</center></span>
== পরামর্শ ==
* কোমল কচুপাতা বেছে নিন যাতে গলা চুলকানো সমস্যা না হয়। চাইলে পাতাগুলো হালকা করে সিদ্ধ করে নিলেও উপকার পাওয়া যায়।
* বেশি ঝাল পছন্দ হলে কাঁচা মরিচের পরিমাণ বাড়িয়ে নিতে পারেন।
* যদি কারও সরিষা বাটার স্বাদ অপছন্দ হয়, তবে সরিষা পরিমাণে কম দিয়ে শুরু করা ভালো।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
bai7ph7s7facfluns1o0vvkziv1qa6x
84571
84570
2025-06-17T01:09:39Z
Mehedi Abedin
7113
84571
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = শাকসবজি পদ
| পরিবেশন = ৪–৫ জন
| তৈরির সময় = ১ ঘণ্টা
| কষ্টসাধ্য = ৩
| খাদ্য শক্তি = মাঝারি
| টীকা = কচুপাতা, সরিষা বাটা ও বিভিন্ন মসলা দিয়ে রান্না করা এক পদ যা স্থানীয়ভাবে 'পেলকা' নামে পরিচিত।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''পেলকা'''</big></center>
রংপুর অঞ্চলের গ্রামীণ ঘরের অতি পরিচিত এক ঐতিহ্যবাহী খাবার হলো 'পেলকা'। এই পদটির মূল উপাদান হলো কচুপাতা, যা গ্রামবাংলার বাড়ির উঠানে সহজলভ্য। সরিষা বাটা, লবণ, কাঁচামরিচ এবং কচুপাতার সামঞ্জস্যপূর্ণ সংমিশ্রণে তৈরি এই পদটির স্বাদে মাটির ঘ্রাণ থাকে। এটি সাধারণত ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করা হয় এবং গরম ভাতের সঙ্গে এর ঝাঝালো স্বাদ মন জয় করে নেয়।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! উপাদান !! পরিমাণ
|-
| কচুপাতা (তরুণ ও কোমল) || ৮–১০টি
|-
| সরিষা বাটা || ৩ টেবিল চামচ
|-
| কাঁচা মরিচ || ৬–৮টি (ঝাল স্বাদ অনুযায়ী)
|-
| রসুন বাটা || ১ টেবিল চামচ
|-
| পেঁয়াজ কুচি || ১ কাপ
|-
| লবণ || পরিমাণমতো
|-
| হলুদের গুঁড়া || ১/২ চা চামচ
|-
| তেল || ৩–৪ টেবিল চামচ
|-
| শুকনো মরিচ || ২–৩টি (ভাজা)
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# প্রথমে কচুপাতাগুলো ভালোভাবে ধুয়ে নিন এবং পাতলা করে কুচি করে নিন। খেয়াল রাখতে হবে, যেন পাতা পুরনো না হয় কারণ পুরনো কচুপাতা খাওয়ার পর গলা চুলকায়।
# একটি বড় পাত্রে কুচানো কচুপাতা, সরিষা বাটা, রসুন বাটা, কাঁচা মরিচ, হলুদ ও লবণ একসাথে মিশিয়ে ১৫–২০ মিনিট রেখে দিন, যাতে কচুর কাঁচা গন্ধ কিছুটা কমে যায়।
# একটি মোটা তলায় হাঁড়িতে তেল গরম করে তাতে পেঁয়াজ কুচি দিন এবং হালকা বাদামি করে ভেজে নিন।
# এরপর মসলা মিশ্রিত কচুপাতা দিয়ে দিন এবং ভালোভাবে নাড়তে থাকুন। অল্প আঁচে ঢেকে ৩০–৪০ মিনিট রান্না করুন, মাঝে মাঝে নাড়তে ভুলবেন না যাতে নিচে লেগে না যায়।
<span style=color:red;><center>'''রান্না শেষে শুকনো মরিচ ভেজে উপরে ছিটিয়ে পরিবেশন করুন।'''</center></span>
== পরামর্শ ==
* কোমল কচুপাতা বেছে নিন যাতে গলা চুলকানো সমস্যা না হয়। চাইলে পাতাগুলো হালকা করে সিদ্ধ করে নিলেও উপকার পাওয়া যায়।
* বেশি ঝাল পছন্দ হলে কাঁচা মরিচের পরিমাণ বাড়িয়ে নিতে পারেন।
* যদি কারও সরিষা বাটার স্বাদ অপছন্দ হয়, তবে সরিষা পরিমাণে কম দিয়ে শুরু করা ভালো।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
2w3c40on23sx031lwhv7b1eu2l1psva
84572
84571
2025-06-17T01:11:16Z
Mehedi Abedin
7113
84572
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = শাকসবজি পদ
| পরিবেশন = ৪–৫ জন
| তৈরির সময় = ১ ঘণ্টা
| কষ্টসাধ্য = ৩
| খাদ্য শক্তি = মাঝারি
| টীকা = কচুপাতা, সরিষা বাটা ও বিভিন্ন মসলা দিয়ে রান্না করা এক পদ যা স্থানীয়ভাবে 'পেলকা' নামে পরিচিত।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''পেলকা'''</big></center>
রংপুর অঞ্চলের গ্রামীণ ঘরের অতি পরিচিত এক ঐতিহ্যবাহী খাবার হলো 'পেলকা'। এই পদটির মূল উপাদান হলো কচুপাতা, যা গ্রামবাংলার বাড়ির উঠানে সহজলভ্য। সরিষা বাটা, লবণ, কাঁচামরিচ এবং কচুপাতার সামঞ্জস্যপূর্ণ সংমিশ্রণে তৈরি এই পদটির স্বাদে মাটির ঘ্রাণ থাকে। এটি সাধারণত ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করা হয় এবং গরম ভাতের সঙ্গে এর ঝাঝালো স্বাদ মন জয় করে নেয়।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! উপাদান !! পরিমাণ
|-
| কচুপাতা (কচি ও নরম) || ৮–১০টি
|-
| সরিষা বাটা || ৩ টেবিল চামচ
|-
| কাঁচা মরিচ || ৬–৮টি (ঝাল স্বাদ অনুযায়ী)
|-
| রসুন বাটা || ১ টেবিল চামচ
|-
| পেঁয়াজ কুচি || ১ কাপ
|-
| লবণ || পরিমাণমতো
|-
| হলুদের গুঁড়া || ১/২ চা চামচ
|-
| তেল || ৩–৪ টেবিল চামচ
|-
| শুকনো মরিচ || ২–৩টি (ভাজা)
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# প্রথমে কচুপাতাগুলো ভালোভাবে ধুয়ে নিন এবং পাতলা করে কুচি করে নিন। খেয়াল রাখতে হবে, যেন পাতা পুরনো না হয় কারণ পুরনো কচুপাতা খাওয়ার পর গলা চুলকায়।
# একটি বড় পাত্রে কুচানো কচুপাতা, সরিষা বাটা, রসুন বাটা, কাঁচা মরিচ, হলুদ ও লবণ একসাথে মিশিয়ে ১৫–২০ মিনিট রেখে দিন, যাতে কচুর কাঁচা গন্ধ কিছুটা কমে যায়।
# একটি মোটা তলায় হাঁড়িতে তেল গরম করে তাতে পেঁয়াজ কুচি দিন এবং হালকা বাদামি করে ভেজে নিন।
# এরপর মসলা মিশ্রিত কচুপাতা দিয়ে দিন এবং ভালোভাবে নাড়তে থাকুন। অল্প আঁচে ঢেকে ৩০–৪০ মিনিট রান্না করুন, মাঝে মাঝে নাড়তে ভুলবেন না যাতে নিচে লেগে না যায়।
<span style=color:red;><center>'''রান্না শেষে শুকনো মরিচ ভেজে উপরে ছিটিয়ে পরিবেশন করুন।'''</center></span>
== পরামর্শ ==
* কোমল কচুপাতা বেছে নিন যাতে গলা চুলকানো সমস্যা না হয়। চাইলে পাতাগুলো হালকা করে সিদ্ধ করে নিলেও উপকার পাওয়া যায়।
* বেশি ঝাল পছন্দ হলে কাঁচা মরিচের পরিমাণ বাড়িয়ে নিতে পারেন।
* যদি কারও সরিষা বাটার স্বাদ অপছন্দ হয়, তবে সরিষা পরিমাণে কম দিয়ে শুরু করা ভালো।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
hqad6wvt1fp8lplza2m8y4mt3igru54
84573
84572
2025-06-17T01:12:16Z
Mehedi Abedin
7113
84573
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = শাকসবজি পদ
| পরিবেশন = ৪–৫ জন
| তৈরির সময় = ১ ঘণ্টা
| কষ্টসাধ্য = ৩
| খাদ্য শক্তি = মাঝারি
| টীকা = কচুপাতা, সরিষা বাটা ও বিভিন্ন মসলা দিয়ে রান্না করা এক পদ যা স্থানীয়ভাবে 'পেলকা' নামে পরিচিত।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''পেলকা'''</big></center>
রংপুর অঞ্চলের গ্রামীণ ঘরের অতি পরিচিত এক ঐতিহ্যবাহী খাবার হলো 'পেলকা'। এই পদটির মূল উপাদান হলো কচুপাতা, যা গ্রামবাংলার বাড়ির উঠানে সহজলভ্য। সরিষা বাটা, লবণ, কাঁচামরিচ এবং কচুপাতার সামঞ্জস্যপূর্ণ সংমিশ্রণে তৈরি এই পদটির স্বাদে মাটির ঘ্রাণ থাকে। এটি সাধারণত ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করা হয় এবং গরম ভাতের সঙ্গে এর ঝাঝালো স্বাদ মন জয় করে নেয়।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! উপাদান !! পরিমাণ
|-
| কচুপাতা (কচি ও নরম) || ৮–১০টি
|-
| সরিষা বাটা || ৩ টেবিল চামচ
|-
| কাঁচা মরিচ || ৬–৮টি (ঝাল স্বাদ অনুযায়ী)
|-
| রসুন বাটা || ১ টেবিল চামচ
|-
| পেঁয়াজ কুচি || ১ কাপ
|-
| লবণ || পরিমাণমতো
|-
| হলুদের গুঁড়া || ১/২ চা চামচ
|-
| তেল || ৩–৪ টেবিল চামচ
|-
| শুকনো মরিচ || ২–৩টি (ভাজা)
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# প্রথমে কচুপাতাগুলো ভালোভাবে ধুয়ে নিন এবং পাতলা করে কুচি করে নিন। খেয়াল রাখতে হবে, যেন পাতা পুরোনো না হয় কারণ পুরোনো কচুপাতা খাওয়ার পর গলা চুলকায়।
# একটি বড় পাত্রে কুচানো কচুপাতা, সরিষা বাটা, রসুন বাটা, কাঁচা মরিচ, হলুদ ও লবণ একসাথে মিশিয়ে ১৫–২০ মিনিট রেখে দিন, যাতে কচুর কাঁচা গন্ধ কিছুটা কমে যায়।
# একটি মোটা তলায় হাঁড়িতে তেল গরম করে তাতে পেঁয়াজ কুচি দিন এবং হালকা বাদামি করে ভেজে নিন।
# এরপর মসলা মিশ্রিত কচুপাতা দিয়ে দিন এবং ভালোভাবে নাড়তে থাকুন। অল্প আঁচে ঢেকে ৩০–৪০ মিনিট রান্না করুন, মাঝে মাঝে নাড়তে ভুলবেন না যাতে নিচে লেগে না যায়।
<span style=color:red;><center>'''রান্না শেষে শুকনো মরিচ ভেজে উপরে ছিটিয়ে পরিবেশন করুন।'''</center></span>
== পরামর্শ ==
* কোমল কচুপাতা বেছে নিন যাতে গলা চুলকানো সমস্যা না হয়। চাইলে পাতাগুলো হালকা করে সিদ্ধ করে নিলেও উপকার পাওয়া যায়।
* বেশি ঝাল পছন্দ হলে কাঁচা মরিচের পরিমাণ বাড়িয়ে নিতে পারেন।
* যদি কারও সরিষা বাটার স্বাদ অপছন্দ হয়, তবে সরিষা পরিমাণে কম দিয়ে শুরু করা ভালো।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
o7ccvzh3v9lcfdgck1i5rjgfb5afg5w
84574
84573
2025-06-17T01:12:35Z
Mehedi Abedin
7113
84574
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = শাকসবজি পদ
| পরিবেশন = ৪–৫ জন
| তৈরির সময় = ১ ঘণ্টা
| কষ্টসাধ্য = ৩
| খাদ্য শক্তি = মাঝারি
| টীকা = কচুপাতা, সরিষা বাটা ও বিভিন্ন মসলা দিয়ে রান্না করা এক পদ যা স্থানীয়ভাবে 'পেলকা' নামে পরিচিত।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''পেলকা'''</big></center>
রংপুর অঞ্চলের গ্রামীণ ঘরের অতি পরিচিত এক ঐতিহ্যবাহী খাবার হলো 'পেলকা'। এই পদটির মূল উপাদান হলো কচুপাতা, যা গ্রামবাংলার বাড়ির উঠানে সহজলভ্য। সরিষা বাটা, লবণ, কাঁচামরিচ এবং কচুপাতার সামঞ্জস্যপূর্ণ সংমিশ্রণে তৈরি এই পদটির স্বাদে মাটির ঘ্রাণ থাকে। এটি সাধারণত ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করা হয় এবং গরম ভাতের সঙ্গে এর ঝাঝালো স্বাদ মন জয় করে নেয়।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! উপাদান !! পরিমাণ
|-
| কচুপাতা (কচি ও নরম) || ৮–১০টি
|-
| সরিষা বাটা || ৩ টেবিল চামচ
|-
| কাঁচা মরিচ || ৬–৮টি (ঝাল স্বাদ অনুযায়ী)
|-
| রসুন বাটা || ১ টেবিল চামচ
|-
| পেঁয়াজ কুচি || ১ কাপ
|-
| লবণ || পরিমাণমতো
|-
| হলুদের গুঁড়া || ১/২ চা চামচ
|-
| তেল || ৩–৪ টেবিল চামচ
|-
| শুকনো মরিচ || ২–৩টি (ভাজা)
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# প্রথমে কচুপাতাগুলো ভালোভাবে ধুয়ে নিন এবং পাতলা করে কুচি করে নিন। খেয়াল রাখতে হবে, যেন পাতা পুরোনো না হয় কারণ পুরোনো কচুপাতা খাওয়ার পর গলা চুলকায়।
# একটি বড় পাত্রে কুচানো কচুপাতা, সরিষা বাটা, রসুন বাটা, কাঁচা মরিচ, হলুদ ও লবণ একসাথে মিশিয়ে ১৫–২০ মিনিট রেখে দিন, যাতে কচুর কাঁচা গন্ধ কিছুটা কমে যায়।
# একটি মোটা তলায় হাঁড়িতে তেল গরম করে তাতে পেঁয়াজ কুচি দিন এবং হালকা বাদামি করে ভেজে নিন।
# এরপর মসলা মিশ্রিত কচুপাতা দিয়ে দিন এবং ভালোভাবে নাড়তে থাকুন। অল্প আঁচে ঢেকে ৩০–৪০ মিনিট রান্না করুন, মাঝে মাঝে নাড়তে ভুলবেন না যাতে নিচে লেগে না যায়।
<span style=color:red;><center>'''রান্না শেষে শুকনো মরিচ ভেজে উপরে ছিটিয়ে পরিবেশন করুন।'''</center></span>
== পরামর্শ ==
* নরম কচুপাতা বেছে নিন যাতে গলা চুলকানো সমস্যা না হয়। চাইলে পাতাগুলো হালকা করে সিদ্ধ করে নিলেও উপকার পাওয়া যায়।
* বেশি ঝাল পছন্দ হলে কাঁচা মরিচের পরিমাণ বাড়িয়ে নিতে পারেন।
* যদি কারও সরিষা বাটার স্বাদ অপছন্দ হয়, তবে সরিষা পরিমাণে কম দিয়ে শুরু করা ভালো।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
h0p0qnum972kcs9s8bk1l87lz9rmbhz
প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/ফিল্টার ডিজাইনের প্রস্তাবনা
0
25773
84407
80416
2025-06-16T12:07:50Z
RDasgupta2020
8748
84407
wikitext
text/x-wiki
প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞানে শব্দগ্রাহী ফিল্টারের ডিজাইন বা নকশা প্রস্তুত করা একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং আগ্রহপূর্ণ অধ্যয়নের ক্ষেত্র। যখন কোন প্রকৌশলী শব্দগ্রাহী ফিল্টারের নকশা প্রস্তুত করে তখন সেই ফিল্টারের ডিজাইন বা নকশার কার্যপ্রনালী নির্ভুল কিনা, যাচাই করার বিশেষ বিশেষ প্রক্রিয়া আছে। সাধারণত কোন নলাকার বস্তু বা পাইপের মধ্য দিয়ে একমাত্রিক (''ওয়ান ডাইমেনশিওনাল'') তরঙ্গ পরিবহণের প্রক্রিয়া প্রত্যক্ষ করার মাধ্যমে কোন ফিটারের নকশা যাচাই করা হয়। একমাত্রিক তরঙ্গ পরিবহণের প্রসঙ্গে শুধুমাত্র সেই সমস্ত তথ্যই আলোচনা করা হবে যা ফিল্টার নির্মাণ কৌশলী বোঝার জন্য প্রয়োজন। দীর্ঘ তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের ক্ষেত্রে আদর্শ ফিল্টারের নকশা ছাড়াও কিছু বাস্তবসম্মত ফিল্টারের উদাহরণও আলোচনা করা হবে, বিশেষত যেসকল ফিল্টারগুলি বাস্তব ক্ষেত্রে বিশেষভাবে প্রয়োগ করা যায়, সেইসকল ফিল্টারের নকশা অধ্যয়নের উপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে। প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞানে শব্দগ্রাহী ফিল্টারের নকশা প্রস্তুতের ক্ষেত্রে অধ্যয়ন পুস্তকে লিখিত তত্ত্ব ও বাস্তবের মধ্যে সংযোগ তৈরি করা বিশেষ প্রয়োজন। তাই বাস্তব ক্ষেত্রে ফিল্টার প্রস্তুতির বেশ কয়েকটি উদাহরণও দেখানো হবে এবং সেই বিষয়ে বিশদ আলোচনা করা হবে।
অতিরিক্তভাবে যেসব বিষয় সংক্ষেপে আলোচিত হতে পারে, সেগুলি হল: প্রতিবন্ধকতার সম্পর্ক (ইমপিডেন্স রিলেশন), শক্তি সঞ্চালন (পাওয়ার ট্রান্সমিশন), অনুরণন (রেসোনেন্স), ক্ষয় বা মন্দন (অ্যাটেনুয়েশন), এবং ক্ষুদ্র যান্ত্রিক উপাদান বা ''লাম্পড এলিমেন্ট''<ref>[[Wikipedia: Lumped-element model]]</ref> সম্পর্কিত ধারণা। পাঠকেরা যদি এইসকল বিষয়ে আগে থেকে অবগত থাকেন তাহলে তাদের পঠন পাঠনে বিশেষ সুবিধা হবে।
[[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/ফিল্টার ডিজাইন ও বাস্তবায়ন|প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/ফিল্টার ডিজাইন ও বাস্তবায়ন পাতার ফিরে যান]]
==তথ্যসূত্র==
{{reflist}}
{{BookCat}}
aac36vfvamf72jq58fj4bqorlmmikhk
প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/তড়িৎ-যান্ত্রিক সাদৃশ্য
0
25797
84642
80487
2025-06-17T06:22:54Z
RDasgupta2020
8748
84642
wikitext
text/x-wiki
==বেশিরভাগ সার্কিট অ্যানালগ কেন==
শব্দবিজ্ঞান সম্পর্কিত বেশিরভাগ যন্ত্রপাতি সাধারণত যান্ত্রিক ও বৈদ্যুতিক উপাদানের সমন্বয়ে গঠিত হয়। যেমন, একটি লাউডস্পিকার যা বিদ্যুৎ সরবরাহের মাধ্যমে চলে। প্রকৌশলে এমন যন্ত্রের কার্যপ্রনালী ব্যাখা করার সুবিধার জন্য আমরা সেটিকে একটি একক বর্তনী বা একক সার্কিট হিসাবে ধরে নিয়ে বিশ্লেষণ করি। এই পদ্ধতিকে প্রকৌশল অধ্যয়নে বলা হয় বর্তনী সাদৃশ্যতা বা ''সার্কিট অ্যানালজি''। একইভাবে, যখন কোন যন্ত্রে শব্দ ও বিদ্যুৎ -এই দুই শক্তির প্রয়োগ থাকে (যেমন লাউডস্পিকার বা মাইক্রোফোনে), তখন তড়িৎ-যান্ত্রিক সাদৃশ্যর সাহায্যে আমরা সেগুলো বিশ্লেষণ করতে পারি।
==তড়িৎ-যান্ত্রিক সাদৃশ্য কিভাবে কাজ করে==
একটি তড়িৎ বর্তনী(ইলেকট্রিকাল সার্কিট) ও তার কার্যকারিতা বর্ননা করা হয় [[w:বিভব|বিভব]] বা ''পটেনশিয়াল'' এবং [[w:ফ্লাক্স|ফ্লাক্স]] (বিদ্যুৎ) -এর মাধ্যমে। একটি ''মেকানিকাল সিস্টেম'' বা ''যান্ত্রিক ব্যাবস্থার'' বর্তনী সাদৃশ্য বা ''সার্কিট অ্যানালগ'' নির্মান হেতু প্রথমে আমাদের সেই যান্ত্রিক সিস্টেমের ''ফ্লাক্স'' এবং ''বিভব'' -এই দুটি রাশিকে সংজ্ঞায়িত করি। এই দুই রাশির বিশ্লেষনের জন্য দুটি ভিন্নধর্মী অ্যানালগ সিস্টেম ব্যবস্থা বর্তমান যাদের মধ্যে একটি হল ''ইম্পিডেন্স অ্যানালগ''। এটি এমন একটি ব্যাবস্থা যেখানে কোনো একটি উপাদানের উপর কার্যরত বলকে বিভব এবং উপাদানটির গতিবেগ বা ''ভেলোসিটি'' -কে ফ্লাক্স হিসেবে বিবেচনা করা হয়। অপরটিকে বলা হয় ''মোবিলিটি অ্যানলগ'' যেখানে কোন উপাদানের গতিবেগকে বিভব এবং তার উপর কার্যরত বলকে ফ্লাক্স হিসাবে বিবেচনা করা হয়। নিচে এই দুই অ্যানালগ ব্যাবস্থার তুলনা করে দেখানো হল;
{| class="wikitable"
!
! যান্ত্রিক
! তড়িৎ সাদৃশ্যতা
|-
| '''ইম্পিডেন্স অ্যানালগ'''
|
|-
| বিভব:
| বল
| ভোল্টেজ
|-
| ফ্লাক্স:
| গতিবেগ
| তড়িৎ
|-
| '''মোবিলিটি অ্যানালগ'''
|
|-
| বিভব:
| গতিবেগ
| ভোল্টেজ
|-
| ফ্লাক্স:
| বল
| তড়িৎ
|-
|}
অনেকের ক্ষেত্রেই যান্ত্রিক সিস্টেমের বিশ্লেষণের ক্ষেত্রে ''মোবিলিটি অ্যানালগ'' পদ্ধতির ব্যাবহার অপেক্ষাকৃত সহজ বলে মনে হয়, কারন এতে ফ্লাক্স বা তড়িৎচালক বলকে সমতুল্য হিসাবে বিবেচনা করা হয়। তবে, যেকোনো পদ্ধতি ব্যবহার করেই একই ফলাফল পাওয়া যায় এবং প্রয়োজনে [[w:ডট গুণন|ডুয়াল (ডট) পদ্ধতি]] ব্যবহার করে একটিকে অন্যটিতে রূপান্তরও করা যায়।
==একটি দোলক যান্ত্রিক ব্যাবস্থার মৌলিক উপাদানসমূহ==
'''যান্ত্রিক স্প্রিং:'''
: [[File:resistor11.jpg]]
ধারণা করা হয় যে, যেকোন আদর্শ স্প্রিং তার ''স্থিতিস্থাপক সীমা'' বা ''ইলাস্টিক লিমিট'' -এর মধ্যে ক্রিয়াশীল। আদর্শ স্প্রিং -এর এই আচরণকে [[w:হুকের সূত্র|হুকের সূত্রের]] সাথে সম্পর্কিত করা যায়। আদর্শ স্প্রিং -কে ভরবিহীন এবং অবমন্দন (''ড্যাম্পিং'')<ref>[[Wikipedia: Damping]]</ref> প্রভাবমুক্ত হিসাবেও বিবেচনা করা হয়।
:<math> F=-cx, \ </math>
'''যান্ত্রিক ভর:'''
একটি কম্পনরত সিস্টেমে কোন ভরযুক্ত বস্তুর অবস্থান [[w:ত্বরণ|ত্বরণকে]] প্রতিরোধ করে। নিউটনের দ্বিতীয় সূত্র অনুসারে:
:<math>F=mx^{\prime\prime}=ma=m\frac{du}{dt}</math>
:<math>F=K\int\,u dt</math>
'''যান্ত্রিক রোধক:'''
: [[File:Dashpot.png]]
''ড্যাশপট''<ref>[[Wikipedia: Dashpot]]</ref> হল একটি আদর্শ নিঃশোষক যন্ত্র(''ভিসিয়াস ড্যাম্পার''), যা প্রধানত বেগের বিপরীত অভিমুখে ক্রিয়াশীল। এটিকে যান্ত্রিক রোধক হিসাবে ব্যাখা করা যায়।
:<math>F=R u\displaystyle</math>
'''আদর্শ উৎপাদক(আইডিয়াল জেনারেটর):'''
যে কোনও সিস্টেম বা ব্যাবস্থাকে চালনা করার জন্য দুটি আদর্শ উৎপাদক বা জেনারেটরের প্রয়োজন—একটি হল ''আদর্শ বেগ উৎপাদক''(আইডিয়াল ভেলোসিটি জেনারেটর) এবং অন্যটি হল ''আদর্শ বল উৎপাদক''(আইডিয়াল ফোর্স জেনারেটর)।
আদর্শ বেগ জেনারেটরকে একটি ক্র্যাঙ্ক<ref>[[Wikipedia: Crank (mechanism)]]</ref>-এর চিত্র দিয়ে বোঝানো যায় অথবা সরাসরি নিম্নরূপে প্রকাশ করা যায়:
<math>u(t)=f(t)</math>
আদর্শ বল জেনারেটরকে একটি তীরচিহ্ন দিয়ে চিত্রিত করা যায় অথবা নিম্নরূপে প্রকাশ করা যায়:
<math>F(t)=f(t)</math>
'''সরল নিঃশোষণকারী যান্ত্রিক দোলক(সিম্পল ড্যাম্পড মেকানিকাল অসিলেটর):'''
: [[File:Forced_Oscillator.PNG]]
পরবর্তী বিভাগে আমরা একটি সরল যান্ত্রিক ব্যাবস্থা বা মেকানিকাল সিস্টেমকে মোবিলিটি অ্যানালগ অথবা ইম্পিডেন্স অ্যনালগ হিসাবে বিবেচনা করে তার বিশ্লেষণ করব। এই যান্ত্রিক সিস্টেমটি হয় আদর্শ বল উৎপাদক অথবা আদর্শ বেগ উৎপাদকের দ্বারা প্রভাবিত হবে এবং সিস্টেমের বিশ্লেষণের সময় আমরা শুধু [[w:সরল স্পন্দন গতি|সিম্পল হার্মোনিক গতির]] কথা বিবেচনা করে সমস্ত বিশ্লেষণ করব। যেকোন যান্ত্রিক সিস্টেমকে নির্দেশিত করা হয় '''m''' চিহ্নের মাধ্যমে। যান্ত্রিক ও ধ্বনিতাত্ত্বিক সিস্টেমের একত্র ব্যবহারের বিশ্লেষণের সময় এটি উপযোগী হয়ে ওঠে।
== ইম্পিডেন্স অ্যানালগ ==
'''যান্ত্রিক স্প্রিং:'''
একটি স্প্রিং -এর বল তার সাম্যাবস্থা থেকে বিচ্যুতির সাথে সম্পর্কিত। হুকের সূত্র অনুসারে;
:<math>F(t)=c_m \Delta x = c_m \int_{0}^{t} u( \tau )d \tau </math>
আমরা যদি কোন তড়িৎ বর্তনীর কথা বিবেচনা করি তাহলে যান্ত্রিক সিস্টেমের স্প্রিং -এর সমতুল্য আচরণ আমরা দেখতে পাই একটি [[w:ধারক|ক্যাপাসিটারের]] মধ্যে;
:<math>V(t)=\frac{1}{C}\int_{0}^{t} \,i(\tau) d\tau </math>
'''যান্ত্রিক ভর:'''
কোন ভরযুক্ত বস্তুর উপর প্রয়োগীকৃত বল তার গতিবেগের পরিবর্তন বা ত্বরণের উপর নির্ভরশীল। নিউটনের দ্বিতীয় গতিসূত্র অনুসারে,
:<math>F(t)=m_ma=m_m\frac{d}{dt}u(t)</math>
তড়িৎ বর্তনীতে সমতুল্য ব্যাবহার দেখা যায় [[w:আবেশক|ইন্ডাক্টরে]];
:<math>V(t)=L\frac{d}{dt}i(t)</math>
'''যান্ত্রিক রোধক:'''
সান্দ্র নিঃশোষক (ভিসিয়াস ড্যাম্পার) -এর ক্ষেত্রে বল এবং গতিবেগ সরাসরি সম্পর্কিত।
<math>F=R_m u\displaystyle</math>
তড়িৎ বর্তনীতে সমতুল্য ব্যাবহার দেখা যায় [[w:রোধক|রেসিস্টর]] -এর ক্ষেত্রে;
:<math>V=R i\displaystyle</math>
'''উদাহরণ:'''
এইভাবেই পূর্ব আলোচিত যান্ত্রিক দোলক একটি তড়িৎ বর্তনীতে পরিনত করা যায় যেখানে এক্টি রেসিস্টর (রোধক), ইন্ডাক্টর(আবেশক) এবং ক্যাপাসিটার(ধারক) পরস্পরের সাথে [[w:সমান্তরাল ও শ্রেণি বর্তনী|শ্রেনী বর্তনী সংযোগের]] মাধ্যমে যুক্ত। এই বিশেষ বর্তনী ''সিরিজ আর-এল-সি সার্কিট'' নামে পরিচিত।
[[File:RLC series circuit v1.svg]]
এই বর্তনীর সমস্ত বৈদ্যুতিন উপাদান (রোধক, আবেশক ও ধারক) -এর মধ্য দিয়ে সম পরিমান তড়িৎ প্রবাহ চালিত হয় এবং সমস্ত বৈদ্যুতিন উপাদানের বিভব পতন(ভোল্টেজ) -এর যোগফল জেনারটর(এক্ষেত্রে বর্তনীর সাথে যুক্ত তড়িৎ উৎস বা ব্যাটারী) -এর বিভব(ভোল্টেজ) -এর সাথে সমান হবে। এই তড়িৎ বর্তনীর সাথে যুক্ত আদর্শ তড়িৎশক্তি উৎপাদক একটি আদর্শ বল উৎপাদকের সমতুল্য হবে।
'''গুরুত্বপূর্ণ দ্রষ্টব্য:''' স্প্রিং এবং ড্যাশপটের জন্য পরিমাপ করা বেগ হল আপেক্ষিক বেগ (এক প্রান্তের বেগ অন্য প্রান্তের বেগ বিয়োগ করে)। ভরবেগ হল পরম বেগ।
'''ইম্পিডেন্সেস:'''
{| class="wikitable"
! উপাদান
!
! ইম্পিডেন্স
|-
| স্প্রিং
| ধারক
| <math>Z_c = \frac{V_c}{I_c} = \frac{c_m}{j \omega } </math>
|-
| ভর
| আবেশক(ইন্ডাক্টর)
| <math>Z_m = \frac{V_m}{I_m} = j \omega m_m</math>
|-
| ড্যাশপট
| রোধক(রেসিস্টর)
| <math>Z_d = \frac{V_m}{I_m} = R_m</math>
|}
== মোবিলিটি অ্যানালগ ==
ইম্পিডেন্স অ্যানালগের মতোই মোবিলিটি অ্যানালগেও যান্ত্রিক ব্যাবস্থার মৌলিক উপাদানগুলির সমতুল্য বৈদ্যুতিন উপাদান দিয়ে তড়িৎ বর্তনী নির্মান করা যাবে। তবে বেশিরভাগ তড়িৎ বর্তনীতে ভোল্টেজ বা বিভবকে সংজ্ঞায়িত করা হয় বর্তনীর অন্তরবর্তী তড়িৎপ্রবাহের পরিপ্রেক্ষিতে কিন্তু এক্ষেত্রে গতিবেগের বিশ্লেষণ হবে বলের পরিপ্রেক্ষিতে যা চিরাচরিত বিশ্লেষণের থেকে ভিন্ন। যাইহোক, সহজ বীজগাণিতের সাহায্যে এই ভিন্নতার সমাধান করা সম্ভব।
'''যান্ত্রিক স্প্রিং:'''
:<math>F(t)= c_m \int u(t)d t</math>
তড়িৎ বর্তনীতে সমতুল্য ব্যাবহার দেখা যায় আবেশক বা ইন্ডাকটরের ক্ষেত্রে,
:<math>\int V dt=\int L \frac{d}{dt} i(t) dt</math>
:<math>i=\frac{1}{L}\int\,V dt</math>
'''যান্ত্রিক ভর:'''
:<math>F=m_ma=m_m\frac{d}{dt}u(t)</math>
স্প্রিং -এর মতোই, যদি আমরা একটি ক্যাপাসিটরের সাধারণ সমীকরণ নিই এবং [[w:অন্তরজ|ডিফারেন্সিয়ট]] করি,
:<math>\frac{d}{dt}V(t)=\frac{d}{dt}\frac{1}{C}\int \,i(t) dt </math>
:<math>i(t)=C\frac{d}{dt}V(t)</math>
'''যান্ত্রিক রোধক:'''
যেহেতু এক্ষেত্রে বল এবং বেগের সম্পর্ক আনুপাতিক, তাই যান্ত্রিক রোধক বিপরীতমুখী:
:<math>F=\frac{1}{r_m} u=R_m u</math>
:<math>i=\frac{1}{R}V</math>
'''উদাহরণ:'''
এইভাবেই পূর্ব আলোচিত যান্ত্রিক দোলক একটি তড়িৎ বর্তনীতে পরিনত করা যায় যেখানে এক্টি রেসিস্টর (রোধক), ইন্ডাক্টর(আবেশক) এবং ক্যাপাসিটার(ধারক) পরস্পরের সাথে [[w:সমান্তরাল ও শ্রেণি বর্তনী|সমান্তরাল বর্তনী সংযোগের]] মাধ্যমে যুক্ত। এই বিশেষ বর্তনী ''প্যারালাল আর-এল-সি সার্কিট'' নামে পরিচিত।
[[File:RLC_parallel_circuit.png]]
এই বর্তনীর সমস্ত বৈদ্যুতিন উপাদান (রোধক, আবেশক ও ধারক) -এর বিভব প্রভেদ সমান হয়। এই মোবিলিটি অ্যানালগ সিস্টেমকে প্রায়শই ইম্পিডেন্স অ্যানালগের তুলনায় বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয় কারণ, এই সিস্টেমের মধ্যে প্রবাহিত বলকে একটি ফ্লাক্স হিসাবে কল্পনা করা সহজসাধ্য। এই তড়িৎ বর্তনীতে আদর্শ ভোল্টেজ বা বিভব জেনারেটরটি একটি আদর্শ বেগ উৎপাদকের সাথে সমতুল্য।
'''গুরুত্বপূর্ণ দ্রষ্টব্য:''' যেহেতু এক্ষেত্রে ভরবেগের মান চরম তাই এই বিশ্লেষণের ক্ষেত্রে ক্যাপাসিটর বা ধারকের একটি প্রান্তকে সর্বদা গ্রাউন্ডেড অর্থাৎ শূন্য বিভবে রাখতে হবে। কোন ধারক, যার দুটি প্রান্ত শূন্য বিভব ব্যাতীত অন্য কোন মানের বিভবের সাথে যুক্ত তাকে কখনো কখোনো [[w:ইনভার্টার|ইনভার্টার]] হিসাবে বিবেচনা করা হয়।
'''ইম্পিডেন্সেস:'''
{| class="wikitable"
! উপাদান
!
! ইম্পিডেন্স
|-
| স্প্রিং
| আবেশক(ইন্ডাক্টর)
| <math>Z_c = \frac{V_m}{I_m} = \frac{j \omega}{c_m}</math>
|-
| বর
| ধারক(ক্যাপাসিটর)
| <math>Z_m = \frac{V_c}{I_c} = \frac{1}{j \omega m_m} </math>
|-
| ড্যাশপট
| রোধক(রেসিস্টর)
| <math>Z_d = \frac{V_m}{I_m} = r_m = \frac{1}{R_m}</math>
|}
==তথ্যসূত্র==
{{reflist}}
{{BookCat}}
ne3otxifs5vz36eekrbs0myuq18kswb
প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/তড়িৎ-যান্ত্রিক সাদৃশ্যের সমাধান পদ্ধতি
0
25822
84640
80568
2025-06-17T06:19:22Z
RDasgupta2020
8748
/* বিন্দু বা ডট পদ্ধতি: (শুধুমাত্র একমাত্রিক বা প্ল্যানার নেটওয়ার্ক সংযোগের জন্য বৈধ) */
84640
wikitext
text/x-wiki
যান্ত্রিক কোনো সিস্টেম বা ব্যাবস্থার তড়িৎ-যান্ত্রিক সাদৃশ্য বিশ্লেষণের পর, সার্কিটটি সঠিক হয়েছে কি না তা যাচাই করা উচিত। এটি যাচাই করার জন্য দুটি পদ্ধতি রয়েছে:
==বর্তনী বা সার্কিটের সমাধান পদ্ধতি আলোচনা==
'''কির্চফের ভোল্টেজ সূত্র'''
কোন আবদ্ধ লুপের অন্তর্গত সকল উপাদানের বিভেদ প্রভেদ এবং লুপের অন্তর্গত তড়িৎ উৎসের বীজগাণিতিক সমষ্টি অবশ্যই শূন্য হবে।
[[Image:KVL.png]]
<math>v_1 + v_2 + v_3 + v_4 = 0 \displaystyle</math>
'''কির্চফের তড়িৎপ্রবাহ (বা কারেন্ট) সূত্র'''
যেকোন বিন্দুতে প্রবেশকারী সকল তড়িৎপ্রবাহ বা কারেন্টের মান এবং সেই বিন্দু থেকে নির্গত সকল তড়িৎপ্রবাহের মানের বীজগাণিতিক যোগফল সবসময় শূন্য হয়।
[[Image:KCL.png]]
<math> -i_1+i_2+i_3-i_4 = 0 \displaystyle</math>
'''সার্কিট সম্পর্কিত সমস্যা সমাধানের জন্য নির্দেশিকা:'''
মনে রাখবেন, কিছু নির্দিষ্ট উপাদান একত্রিত করে বিশেষ বিন্যাসে সজিয়ে কোন জটিল সার্কিটকে সহজ ও সরল গঠন কাঠামোতে পুনর্বিন্যাস করা যায় যা সামাধানের জন্য সহজবোধ্য। কোন জটিল সার্কিটকে সরলভাবে পুনর্বিন্যস্ত করার জন্য [[w:সমান্তরাল ও শ্রেণি বর্তনী|সিরিজ ও প্যারালাল সার্কিটের]] ধারণার সাথে সামঞ্জস্য রেখে সার্কিটের অন্তর্গত বিভিন্ন উপাদানের সহজ ও বোধগম্য নকশায় পুনস্থাপন করা সম্ভব।
যদি সার্কিট বা বর্তনীতে স্থিতাবস্থা সম্পন্ন আদর্শ তড়িৎ উৎস ব্যাবহার করা হয় তাহলে সেই বর্তনীর সমাধানের জন্য ইম্পিডেন্স ব্যবহার করা যায়। নিচের সূত্রগুলো ব্যবহার করে যেকোনো সার্কিটকে একক ইম্পিডেন্সে পরিণত করা যায়:
'''সিরিজ সংযোগে ইম্পিডেন্স:''' <math>Z_\mathrm{eq} = Z_1 + Z_2 + \,\cdots\, + Z_n.</math>
'''সমান্তরাল সংযোগে ইম্পিডেন্স:''' <math>\frac{1}{Z_\mathrm{eq}} = \frac{1}{Z_1} + \frac{1}{Z_2} + \,\cdots\, + \frac{1}{Z_n} .</math>
== বিন্দু বা ডট পদ্ধতি: (শুধুমাত্র সমতলীয় বা প্ল্যানার নেটওয়ার্ক সংযোগের জন্য বৈধ) ==
এই পদ্ধতির মাধ্যমে কোন বর্তনী বা সার্কিটের তড়িৎ উপাদানের দ্বৈত বা ডুয়াল উপাদানের মাধ্যমে জটিল বর্তনী বা সার্কিটের সহজ নকশা নির্মান করে সার্কিট সংক্রান্ত সমস্যার সমাধানে সাহায্য করে। ডট পদ্ধতির ধাপগুলো নিচে দেওয়া হল:
১.বর্তনীর প্রত্যেক লুপে অবস্থিত প্রতি বৈদ্যুতিক উপাদানের পাশে একটি করে বিন্দু বা ডট চিহ্ন স্থাপন করুন এবং বর্তনীর বাইরে একটি বিন্দু স্থাপন করুন।
২.বিন্দুগুলিকে পরস্পরের সাথে যুক্ত করুন। বিন্দু যুক্তকারী লাইন বা রেখা আঁকার সময় খেয়াল রাখুন যেন বর্তনীর অন্তর্গত প্রত্যাকটি বৈদ্যুতিক উপাদানের মধ্য দিয়ে কেবলমাত্র একটি রেখা অতিক্রম করে এবং কোনো রেখা যেন একাধিক উপাদানের ওপর দিয়ে না যায়।
৩.প্রতিটি রেখা যেখানে কোনো উপাদান অতিক্রম করে, সেখানে সেই উপাদানের ডুয়াল উপাদানটি উৎসসহ চিহ্নিত করুন। (যেমন, যান্ত্রিক সিস্টেমে ভর ↔ বৈদ্যুতিক সিস্টেমে ইনডাক্টর)
৪.যে সার্কিটটি আপনি পাবেন, সেটির আচরণ মূল তড়িৎ-যান্ত্রিক সার্কিটের দ্বৈত অ্যানালগ বা ডুয়াল অ্যানালগ হিসেবে বিবেচিত হবে।
'''উদাহরণ:'''
[[Image:Dotmethod.PNG]]
উপরের সমান্তরাল আর-এল-সি সার্কিটটি একটি আদর্শ কারেন্ট উৎস দ্বারা চালিত একটি সিরিজ আর-এল-সি সার্কিটের সমতুল্য।<ref>[[Wikipedia: RLC circuit]]</ref>
==লঘু কম্পাঙ্ক সীমা==
এই পদ্ধতিতে আমরা নির্দিষ্ট প্যারামিটারগুলোর খুব বড় বা খুব ছোট মানের ক্ষেত্রে সিস্টেমের বৈদ্যুতিক উপাদানের আচরণ বিশ্লেষণ করি এবং তা যান্ত্রিক সিস্টেমের প্রত্যাশিত আচরণের সঙ্গে তুলনা করি। নিম্নের তালিকায় দেখানো হয়েছে বিভিন্ন বৈদ্যুতিন উপাদান অতি উচ্চ মাত্রা ও অতি লঘুমাত্রার কম্পাঙ্কে কিরূপ আচরণ করে;
{| class="wikitable"
!
! অতি উচ্চ মাত্রাবিশিষ্ট মান
! অতি লঘু মাত্রাবিশিষ্ট মান
|-
| '''ধারক বা ক্যাপাসিটর'''
| শর্ট সার্কিট বা একটি সাধারণ বিদ্যুতবাহী তারের ন্যায়
| ওপেন সার্কিট বা খোলা বর্তনীর ন্যায়
|-
| '''আবেশক বা ইন্ডাক্টর'''
| ওপেন সার্কিট বা খোলা বর্তনীর ন্যায়
| ক্লোসড সার্কিট বা আবদ্ধ বর্তনীর ন্যায়
|-
| '''রোধক'''
| ওপেন সার্কিট বা খোলা বর্তনীর ন্যায়
| শর্ট সার্কিট বা একটি সাধারণ বিদ্যুতবাহী তারের ন্যায়
|}
==রৈখিক সার্কিট সমাধানের জন্য অতিরিক্ত তথ্যের সন্ধান==
* থমাস এবং রোজা, "লিনিয়ার সার্কিটের বিশ্লেষণ এবং নকশা", উইলি, ২০০১
* হেইট, কেমারলি এবং ডারবিন, "ইঞ্জিনিয়ারিং সার্কিট বিশ্লেষণ", ষষ্ঠ সংস্করণ, ম্যাকগ্রা হিল, ২০০২
==তথ্যসূত্র==
{{reflist}}
{{BookCat}}
rnioh21dw7nycn9kti0286nljmuzprg
রন্ধনপ্রণালী:আমের মোরব্বা
104
25890
84575
80764
2025-06-17T01:14:04Z
Mehedi Abedin
7113
84575
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = আচার
| পরিবেশন = ১০–১২ জন
| তৈরির সময় = ১ ঘন্টা (তৈরি), ৩–৫ দিন (সংরক্ষণ)
| কষ্টসাধ্য = ৩
| খাদ্য শক্তি = উচ্চ
| টীকা = আমের মোরব্বা একটি ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি সংরক্ষিত খাবার যা গ্রীষ্মের আমের ঋতুকে আরও দীর্ঘস্থায়ী করে তোলে।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''আমের মোরব্বা'''</big></center>
গ্রীষ্মকাল এলেই আমের বাহার আমাদের মন জয় করে। কাঁচা ও পাকা দুই ধরনের আমই বাঙালির রান্নায় বহুবিধভাবে ব্যবহৃত হয়। তারই একটি জনপ্রিয় ও ঐতিহ্যবাহী রূপ হলো ‘আমের মোরব্বা’। এটি মূলত একটি মিষ্টি ও আঠালো সংরক্ষণযোগ্য পদ যা দীর্ঘদিন ধরে খাওয়া যায়। পাকা বা আধা-পাকা আম চিনির সিরায় রেখে ধীরে ধীরে জারিত করে তৈরি করা হয় এই পদটি। এটি শুধুমাত্র স্বাদের জন্য নয়, বরং অনেক সময় হজমের পরিপূরক হিসেবেও খাওয়া হয়ে থাকে।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! নাম !! পরিমাণ
|-
| আধা-পাকা কাঁচা আম || ১ কেজি
|-
| চিনি || ৭৫০ গ্রাম থেকে ১ কেজি (আমের টকত্ব অনুযায়ী)
|-
| পানি || ১ কাপ (সিরা তৈরির জন্য)
|-
| দারুচিনি || ২ টুকরো
|-
| এলাচ || ৩–৪টি
|-
| লবণ || ১/২ চা চামচ (সেদ্ধ করার সময়)
|-
| চুন পানি (ঐচ্ছিক) || ১ কাপ (আম নরম না করতে চাইলে)
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# প্রথমে আমগুলো ধুয়ে খোসা ছাড়িয়ে নিন এবং বড় বড় টুকরো করুন। চাইলে আমের রং ও আকৃতি ঠিক রাখতে ১ ঘণ্টা চুন পানিতে ডুবিয়ে রাখতে পারেন।
# এরপর পরিষ্কার পানিতে ভালোভাবে ধুয়ে নিয়ে লবণ মিশিয়ে হালকা সেদ্ধ করুন যাতে টুকরোগুলো একটু নরম হয় কিন্তু ভেঙে না যায়।
# অন্যদিকে, চিনি ও পানি দিয়ে একটি পাতলা সিরা তৈরি করুন। দারুচিনি ও এলাচ দিয়ে সিরার ঘ্রাণ বাড়িয়ে তুলুন।
# সেদ্ধ আম সিরায় দিয়ে মাঝারি আঁচে ১৫–২০ মিনিট রান্না করুন যাতে সিরা আমের ভিতরে ঢুকে যায়।
# এরপর ঠান্ডা করে বোতলে ভরে দিন। চাইলে প্রতিদিন ৫ মিনিট করে সিরা জ্বাল দিয়ে পুনরায় ঠান্ডা করে রাখলে সংরক্ষণ বেশি দিন চলে।
# মোরব্বা ভালোভাবে সিরায় ডুবে থাকলে সহজেই ৩–৪ মাস পর্যন্ত রেখে খাওয়া যায়।
== পরিবেশন ==
আমের মোরব্বা একপ্রকার স্বাদবর্ধক পদ হিসেবে পরিপূর্ণ আহারের শেষে পরিবেশন করা হয়। আবার কেউ কেউ এটিকে রুটি বা পরোটা সঙ্গেও উপভোগ করেন। ঈদের মতো উৎসবেও এটি ছোটদের কাছে বেশ প্রিয়।
== পরামর্শ ==
* মোরব্বা তৈরি করার সময় আমের টুকরো যেন ভেঙে না যায়, সেদিকে খেয়াল রাখা জরুরি।
* দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করতে চাইলে ভালোভাবে বোতলে রাখুন এবং প্রতিবার ব্যবহারের সময় শুকনা চামচ ব্যবহার করুন।
* সিরা বেশি পাতলা হলে সংরক্ষণের সময় দ্রুত খারাপ হতে পারে।
== স্বাস্থ্য উপকারিতা ও সতর্কতা ==
যদিও আমের মোরব্বা অত্যন্ত সুস্বাদু, তবে এটি চিনি-সমৃদ্ধ হওয়ায় ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য উপযুক্ত নয়। তবে সঠিক পরিমাণে খাওয়া গেলে এটি হজমে সহায়ক এবং হালকা ঠান্ডা লাগলে ঘরোয়া প্রতিকার হিসেবেও ব্যবহৃত হয়।
== ইতিহাস ও ঐতিহ্য ==
আমের মোরব্বা উপমহাদেশের একটি পুরনো সংরক্ষণ পদ্ধতির ফল। বিশেষ করে নবাবি আমলে যখন খাদ্য সংরক্ষণের আধুনিক পদ্ধতি ছিল না, তখন মোরব্বা ছিল একটি রাজকীয় ব্যবস্থা। মুঘল দরবারে পাকা ফলকে দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করার উপায় হিসেবে মোরব্বা একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গা দখল করেছিল।
ভারতের বিহার ও পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের রাজশাহী অঞ্চলে এখনো আমের মোরব্বা ঘরোয়া খাদ্যসংস্কৃতির অংশ হয়ে রয়েছে। সাহিত্যিক বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় একবার লিখেছিলেন—
''"একটা মোরব্বার টুকরো মুখে দিয়ে পুকুর পাড়ে বসে থাকলে, মনে হয় যেন স্বপ্নের রাজ্যে আছি।"''
==তথ্যসূত্র==
{{reflist}}
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:বাংলাদেশী মিষ্টি]]
[[Category:ঐতিহ্যবাহী খাবার]]
[[Category:সংরক্ষণযোগ্য রান্না]]
96nec42qyjgi6k34io7vr052jrwhmso
84576
84575
2025-06-17T01:29:49Z
Mehedi Abedin
7113
84576
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = আচার
| পরিবেশন = ১০–১২ জন
| তৈরির সময় = ১ ঘন্টা (তৈরি), ৩–৫ দিন (সংরক্ষণ)
| কষ্টসাধ্য = ৩
| খাদ্য শক্তি = উচ্চ
| টীকা = আমের মোরব্বা একটি ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি সংরক্ষিত খাবার যা গ্রীষ্মের আমের ঋতুকে আরও দীর্ঘস্থায়ী করে তোলে।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''আমের মোরব্বা'''</big></center>
গ্রীষ্মকাল এলেই আমের বাহার আমাদের মন জয় করে। কাঁচা ও পাকা দুই ধরনের আমই বাঙালির রান্নায় বহুবিধভাবে ব্যবহৃত হয়। তারই একটি জনপ্রিয় ও ঐতিহ্যবাহী রূপ হলো ‘আমের মোরব্বা’। এটি মূলত একটি মিষ্টি ও আঠালো সংরক্ষণযোগ্য পদ যা দীর্ঘদিন ধরে খাওয়া যায়। পাকা বা আধা-পাকা আম চিনির সিরায় রেখে ধীরে ধীরে জারিত করে তৈরি করা হয় এই পদটি। এটি শুধুমাত্র স্বাদের জন্য নয়, বরং অনেক সময় হজমের পরিপূরক হিসেবেও খাওয়া হয়ে থাকে।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! নাম !! পরিমাণ
|-
| আধা-পাকা কাঁচা আম || ১ কেজি
|-
| চিনি || ৭৫০ গ্রাম থেকে ১ কেজি (আমের টকত্ব অনুযায়ী)
|-
| পানি || ১ কাপ (সিরা তৈরির জন্য)
|-
| দারুচিনি || ২ টুকরো
|-
| এলাচ || ৩–৪টি
|-
| লবণ || ১/২ চা চামচ (সেদ্ধ করার সময়)
|-
| চুন পানি (ঐচ্ছিক) || ১ কাপ (আম নরম না করতে চাইলে)
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# প্রথমে আমগুলো ধুয়ে খোসা ছাড়িয়ে নিন এবং বড় বড় টুকরো করুন। চাইলে আমের রং ও আকৃতি ঠিক রাখতে ১ ঘণ্টা চুন পানিতে ডুবিয়ে রাখতে পারেন।
# এরপর পরিষ্কার পানিতে ভালোভাবে ধুয়ে নিয়ে লবণ মিশিয়ে হালকা সেদ্ধ করুন যাতে টুকরোগুলো একটু নরম হয় কিন্তু ভেঙে না যায়।
# অন্যদিকে, চিনি ও পানি দিয়ে একটি পাতলা সিরা তৈরি করুন। দারুচিনি ও এলাচ দিয়ে সিরার ঘ্রাণ বাড়িয়ে তুলুন।
# সেদ্ধ আম সিরায় দিয়ে মাঝারি আঁচে ১৫–২০ মিনিট রান্না করুন যাতে সিরা আমের ভিতরে ঢুকে যায়।
# এরপর ঠান্ডা করে বোতলে ভরে দিন। চাইলে প্রতিদিন ৫ মিনিট করে সিরা জ্বাল দিয়ে পুনরায় ঠান্ডা করে রাখলে সংরক্ষণ বেশি দিন চলে।
# মোরব্বা ভালোভাবে সিরায় ডুবে থাকলে সহজেই ৩–৪ মাস পর্যন্ত রেখে খাওয়া যায়।
== পরিবেশন ==
আমের মোরব্বা একপ্রকার স্বাদবর্ধক পদ হিসেবে পরিপূর্ণ আহারের শেষে পরিবেশন করা হয়। আবার কেউ কেউ এটিকে রুটি বা পরোটা সঙ্গেও উপভোগ করেন। ঈদের মতো উৎসবেও এটি ছোটদের কাছে বেশ প্রিয়।
== পরামর্শ ==
* মোরব্বা তৈরি করার সময় আমের টুকরো যেন ভেঙে না যায়, সেদিকে খেয়াল রাখা জরুরি।
* দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করতে চাইলে ভালোভাবে বোতলে রাখুন এবং প্রতিবার ব্যবহারের সময় শুকনা চামচ ব্যবহার করুন।
* সিরা বেশি পাতলা হলে সংরক্ষণের সময় দ্রুত খারাপ হতে পারে।
== স্বাস্থ্য উপকারিতা ও সতর্কতা ==
যদিও আমের মোরব্বা অত্যন্ত সুস্বাদু, তবে এটি চিনি-সমৃদ্ধ হওয়ায় ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য উপযুক্ত নয়। তবে সঠিক পরিমাণে খাওয়া গেলে এটি হজমে সহায়ক এবং হালকা ঠান্ডা লাগলে ঘরোয়া প্রতিকার হিসেবেও ব্যবহৃত হয়।
== ইতিহাস ও ঐতিহ্য ==
আমের মোরব্বা উপমহাদেশের একটি পুরনো সংরক্ষণ পদ্ধতির ফল। বিশেষ করে নবাবি আমলে যখন খাদ্য সংরক্ষণের আধুনিক পদ্ধতি ছিল না, তখন মোরব্বা ছিল একটি রাজকীয় ব্যবস্থা। মুঘল দরবারে পাকা ফলকে দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করার উপায় হিসেবে মোরব্বা একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গা দখল করেছিল।
ভারতের বিহার ও পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের রাজশাহী অঞ্চলে এখনো আমের মোরব্বা ঘরোয়া খাদ্যসংস্কৃতির অংশ হয়ে রয়েছে। সাহিত্যিক বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় একবার লিখেছিলেন—
''"একটা মোরব্বার টুকরো মুখে দিয়ে পুকুর পাড়ে বসে থাকলে, মনে হয় যেন স্বপ্নের রাজ্যে আছি।"''
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:বাংলাদেশী মিষ্টি]]
[[Category:ঐতিহ্যবাহী খাবার]]
[[Category:সংরক্ষণযোগ্য রান্না]]
7oqsw8ebtxlcyacz964a6itoe6wnn1k
84577
84576
2025-06-17T01:30:29Z
Mehedi Abedin
7113
84577
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = আচার
| পরিবেশন = ১০–১২ জন
| তৈরির সময় = ১ ঘন্টা (তৈরি), ৩–৫ দিন (সংরক্ষণ)
| কষ্টসাধ্য = ৩
| খাদ্য শক্তি = উচ্চ
| টীকা = আমের মোরব্বা একটি ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি সংরক্ষিত খাবার যা গ্রীষ্মের আমের ঋতুকে আরও দীর্ঘস্থায়ী করে তোলে।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''আমের মোরব্বা'''</big></center>
গ্রীষ্মকাল এলেই আমের বাহার আমাদের মন জয় করে। কাঁচা ও পাকা দুই ধরনের আমই বাঙালির রান্নায় বহুবিধভাবে ব্যবহৃত হয়। তারই একটি জনপ্রিয় ও ঐতিহ্যবাহী রূপ হলো ‘আমের মোরব্বা’। এটি মূলত একটি মিষ্টি ও আঠালো সংরক্ষণযোগ্য পদ যা দীর্ঘদিন ধরে খাওয়া যায়। পাকা বা আধা-পাকা আম চিনির সিরায় রেখে ধীরে ধীরে জারিত করে তৈরি করা হয় এই পদটি। এটি শুধুমাত্র স্বাদের জন্য নয়, বরং অনেক সময় হজমের পরিপূরক হিসেবেও খাওয়া হয়ে থাকে।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! নাম !! পরিমাণ
|-
| আধা-পাকা কাঁচা আম || ১ কেজি
|-
| চিনি || ৭৫০ গ্রাম থেকে ১ কেজি (আমের টকত্ব অনুযায়ী)
|-
| পানি || ১ কাপ (সিরা তৈরির জন্য)
|-
| দারুচিনি || ২ টুকরো
|-
| এলাচ || ৩–৪টি
|-
| লবণ || ১/২ চা চামচ (সেদ্ধ করার সময়)
|-
| চুন পানি (ঐচ্ছিক) || ১ কাপ (আম নরম না করতে চাইলে)
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# প্রথমে আমগুলো ধুয়ে খোসা ছাড়িয়ে নিন এবং বড় বড় টুকরো করুন। চাইলে আমের রং ও আকৃতি ঠিক রাখতে ১ ঘণ্টা চুন পানিতে ডুবিয়ে রাখতে পারেন।
# এরপর পরিষ্কার পানিতে ভালোভাবে ধুয়ে নিয়ে লবণ মিশিয়ে হালকা সেদ্ধ করুন যাতে টুকরোগুলো একটু নরম হয় কিন্তু ভেঙে না যায়।
# অন্যদিকে, চিনি ও পানি দিয়ে একটি পাতলা সিরা তৈরি করুন। দারুচিনি ও এলাচ দিয়ে সিরার ঘ্রাণ বাড়িয়ে তুলুন।
# সেদ্ধ আম সিরায় দিয়ে মাঝারি আঁচে ১৫–২০ মিনিট রান্না করুন যাতে সিরা আমের ভিতরে ঢুকে যায়।
# এরপর ঠান্ডা করে বোতলে ভরে দিন। চাইলে প্রতিদিন ৫ মিনিট করে সিরা জ্বাল দিয়ে পুনরায় ঠান্ডা করে রাখলে সংরক্ষণ বেশি দিন চলে।
# মোরব্বা ভালোভাবে সিরায় ডুবে থাকলে সহজেই ৩–৪ মাস পর্যন্ত রেখে খাওয়া যায়।
== পরিবেশন ==
আমের মোরব্বা একপ্রকার স্বাদবর্ধক পদ হিসেবে পরিপূর্ণ আহারের শেষে পরিবেশন করা হয়। আবার কেউ কেউ এটিকে রুটি বা পরোটা সঙ্গেও উপভোগ করেন। ঈদের মতো উৎসবেও এটি ছোটদের কাছে বেশ প্রিয়।
== পরামর্শ ==
* মোরব্বা তৈরি করার সময় আমের টুকরো যেন ভেঙে না যায়, সেদিকে খেয়াল রাখা জরুরি।
* দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করতে চাইলে ভালোভাবে বোতলে রাখুন এবং প্রতিবার ব্যবহারের সময় শুকনা চামচ ব্যবহার করুন।
* সিরা বেশি পাতলা হলে সংরক্ষণের সময় দ্রুত খারাপ হতে পারে।
== স্বাস্থ্য উপকারিতা ও সতর্কতা ==
যদিও আমের মোরব্বা অত্যন্ত সুস্বাদু, তবে এটি চিনি-সমৃদ্ধ হওয়ায় ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য উপযুক্ত নয়। তবে সঠিক পরিমাণে খাওয়া গেলে এটি হজমে সহায়ক এবং হালকা ঠান্ডা লাগলে ঘরোয়া প্রতিকার হিসেবেও ব্যবহৃত হয়।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:বাংলাদেশী মিষ্টি]]
[[Category:ঐতিহ্যবাহী খাবার]]
[[Category:সংরক্ষণযোগ্য রান্না]]
lx57d04jkrpoy6ee2fzrdkxtsb77xo6
84578
84577
2025-06-17T01:30:39Z
Mehedi Abedin
7113
84578
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = আচার
| পরিবেশন = ১০–১২ জন
| তৈরির সময় = ১ ঘন্টা (তৈরি), ৩–৫ দিন (সংরক্ষণ)
| কষ্টসাধ্য = ৩
| খাদ্য শক্তি = উচ্চ
| টীকা = আমের মোরব্বা একটি ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি সংরক্ষিত খাবার যা গ্রীষ্মের আমের ঋতুকে আরও দীর্ঘস্থায়ী করে তোলে।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''আমের মোরব্বা'''</big></center>
গ্রীষ্মকাল এলেই আমের বাহার আমাদের মন জয় করে। কাঁচা ও পাকা দুই ধরনের আমই বাঙালির রান্নায় বহুবিধভাবে ব্যবহৃত হয়। তারই একটি জনপ্রিয় ও ঐতিহ্যবাহী রূপ হলো ‘আমের মোরব্বা’। এটি মূলত একটি মিষ্টি ও আঠালো সংরক্ষণযোগ্য পদ যা দীর্ঘদিন ধরে খাওয়া যায়। পাকা বা আধা-পাকা আম চিনির সিরায় রেখে ধীরে ধীরে জারিত করে তৈরি করা হয় এই পদটি। এটি শুধুমাত্র স্বাদের জন্য নয়, বরং অনেক সময় হজমের পরিপূরক হিসেবেও খাওয়া হয়ে থাকে।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! নাম !! পরিমাণ
|-
| আধা-পাকা কাঁচা আম || ১ কেজি
|-
| চিনি || ৭৫০ গ্রাম থেকে ১ কেজি (আমের টকত্ব অনুযায়ী)
|-
| পানি || ১ কাপ (সিরা তৈরির জন্য)
|-
| দারুচিনি || ২ টুকরো
|-
| এলাচ || ৩–৪টি
|-
| লবণ || ১/২ চা চামচ (সেদ্ধ করার সময়)
|-
| চুন পানি (ঐচ্ছিক) || ১ কাপ (আম নরম না করতে চাইলে)
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# প্রথমে আমগুলো ধুয়ে খোসা ছাড়িয়ে নিন এবং বড় বড় টুকরো করুন। চাইলে আমের রং ও আকৃতি ঠিক রাখতে ১ ঘণ্টা চুন পানিতে ডুবিয়ে রাখতে পারেন।
# এরপর পরিষ্কার পানিতে ভালোভাবে ধুয়ে নিয়ে লবণ মিশিয়ে হালকা সেদ্ধ করুন যাতে টুকরোগুলো একটু নরম হয় কিন্তু ভেঙে না যায়।
# অন্যদিকে, চিনি ও পানি দিয়ে একটি পাতলা সিরা তৈরি করুন। দারুচিনি ও এলাচ দিয়ে সিরার ঘ্রাণ বাড়িয়ে তুলুন।
# সেদ্ধ আম সিরায় দিয়ে মাঝারি আঁচে ১৫–২০ মিনিট রান্না করুন যাতে সিরা আমের ভিতরে ঢুকে যায়।
# এরপর ঠান্ডা করে বোতলে ভরে দিন। চাইলে প্রতিদিন ৫ মিনিট করে সিরা জ্বাল দিয়ে পুনরায় ঠান্ডা করে রাখলে সংরক্ষণ বেশি দিন চলে।
# মোরব্বা ভালোভাবে সিরায় ডুবে থাকলে সহজেই ৩–৪ মাস পর্যন্ত রেখে খাওয়া যায়।
== পরিবেশন ==
আমের মোরব্বা একপ্রকার স্বাদবর্ধক পদ হিসেবে পরিপূর্ণ আহারের শেষে পরিবেশন করা হয়। আবার কেউ কেউ এটিকে রুটি বা পরোটা সঙ্গেও উপভোগ করেন। ঈদের মতো উৎসবেও এটি ছোটদের কাছে বেশ প্রিয়।
== পরামর্শ ==
* মোরব্বা তৈরি করার সময় আমের টুকরো যেন ভেঙে না যায়, সেদিকে খেয়াল রাখা জরুরি।
* দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করতে চাইলে ভালোভাবে বোতলে রাখুন এবং প্রতিবার ব্যবহারের সময় শুকনা চামচ ব্যবহার করুন।
* সিরা বেশি পাতলা হলে সংরক্ষণের সময় দ্রুত খারাপ হতে পারে।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:বাংলাদেশী মিষ্টি]]
[[Category:ঐতিহ্যবাহী খাবার]]
[[Category:সংরক্ষণযোগ্য রান্না]]
bqqvy9awofazwpihzgvzl45ug0zbx9x
84579
84578
2025-06-17T01:31:13Z
Mehedi Abedin
7113
84579
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = আচার
| পরিবেশন = ১০–১২ জন
| তৈরির সময় = ১ ঘন্টা (তৈরি), ৩–৫ দিন (সংরক্ষণ)
| কষ্টসাধ্য = ৩
| খাদ্য শক্তি = উচ্চ
| টীকা = আমের মোরব্বা একটি ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি সংরক্ষিত খাবার যা গ্রীষ্মের আমের ঋতুকে আরও দীর্ঘস্থায়ী করে তোলে।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''আমের মোরব্বা'''</big></center>
গ্রীষ্মকাল এলেই আমের বাহার আমাদের মন জয় করে। কাঁচা ও পাকা দুই ধরনের আমই বাঙালির রান্নায় বহুবিধভাবে ব্যবহৃত হয়। তারই একটি জনপ্রিয় ও ঐতিহ্যবাহী রূপ হলো ‘আমের মোরব্বা’। এটি মূলত একটি মিষ্টি ও আঠালো সংরক্ষণযোগ্য পদ যা দীর্ঘদিন ধরে খাওয়া যায়। পাকা বা আধা-পাকা আম চিনির সিরায় রেখে ধীরে ধীরে জারিত করে তৈরি করা হয় এই পদটি। এটি শুধুমাত্র স্বাদের জন্য নয়, বরং অনেক সময় হজমের পরিপূরক হিসেবেও খাওয়া হয়ে থাকে।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! নাম !! পরিমাণ
|-
| আধা-পাকা কাঁচা আম || ১ কেজি
|-
| চিনি || ৭৫০ গ্রাম থেকে ১ কেজি (আমের টকত্ব অনুযায়ী)
|-
| পানি || ১ কাপ (সিরা তৈরির জন্য)
|-
| দারুচিনি || ২ টুকরো
|-
| এলাচ || ৩–৪টি
|-
| লবণ || ১/২ চা চামচ (সেদ্ধ করার সময়)
|-
| চুন পানি (ঐচ্ছিক) || ১ কাপ (আম নরম না করতে চাইলে)
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# প্রথমে আমগুলো ধুয়ে খোসা ছাড়িয়ে নিন এবং বড় বড় টুকরো করুন। চাইলে আমের রং ও আকৃতি ঠিক রাখতে ১ ঘণ্টা চুন পানিতে ডুবিয়ে রাখতে পারেন।
# এরপর পরিষ্কার পানিতে ভালোভাবে ধুয়ে নিয়ে লবণ মিশিয়ে হালকা সেদ্ধ করুন যাতে টুকরোগুলো একটু নরম হয় কিন্তু ভেঙে না যায়।
# অন্যদিকে, চিনি ও পানি দিয়ে একটি পাতলা সিরা তৈরি করুন। দারুচিনি ও এলাচ দিয়ে সিরার ঘ্রাণ বাড়িয়ে তুলুন।
# সেদ্ধ আম সিরায় দিয়ে মাঝারি আঁচে ১৫–২০ মিনিট রান্না করুন যাতে সিরা আমের ভিতরে ঢুকে যায়।
# এরপর ঠান্ডা করে বোতলে ভরে দিন। চাইলে প্রতিদিন ৫ মিনিট করে সিরা জ্বাল দিয়ে পুনরায় ঠান্ডা করে রাখলে সংরক্ষণ বেশি দিন চলে।
# মোরব্বা ভালোভাবে সিরায় ডুবে থাকলে সহজেই ৩–৪ মাস পর্যন্ত রেখে খাওয়া যায়।
<span style=color:red;><center>'''পরিপূর্ণ আহারের শেষে পরিবেশন করুন।'''</center></span>
== পরামর্শ ==
* মোরব্বা তৈরি করার সময় আমের টুকরো যেন ভেঙে না যায়, সেদিকে খেয়াল রাখা জরুরি।
* দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করতে চাইলে ভালোভাবে বোতলে রাখুন এবং প্রতিবার ব্যবহারের সময় শুকনা চামচ ব্যবহার করুন।
* সিরা বেশি পাতলা হলে সংরক্ষণের সময় দ্রুত খারাপ হতে পারে।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:বাংলাদেশী মিষ্টি]]
[[Category:ঐতিহ্যবাহী খাবার]]
[[Category:সংরক্ষণযোগ্য রান্না]]
8n56dvdj2wtr3a5t656ig5amc3p85eo
84580
84579
2025-06-17T01:32:01Z
Mehedi Abedin
7113
84580
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = আচার
| পরিবেশন = ১০–১২ জন
| তৈরির সময় = ১ ঘন্টা (তৈরি), ৩–৫ দিন (সংরক্ষণ)
| কষ্টসাধ্য = ৩
| খাদ্য শক্তি = উচ্চ
| টীকা = ঐতিহ্যবাহী সংরক্ষিত মিষ্টি খাবার।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''আমের মোরব্বা'''</big></center>
গ্রীষ্মকাল এলেই আমের বাহার আমাদের মন জয় করে। কাঁচা ও পাকা দুই ধরনের আমই বাঙালির রান্নায় বহুবিধভাবে ব্যবহৃত হয়। তারই একটি জনপ্রিয় ও ঐতিহ্যবাহী রূপ হলো আমের মোরব্বা। এটি মূলত একটি মিষ্টি ও আঠালো সংরক্ষণযোগ্য পদ যা দীর্ঘদিন ধরে খাওয়া যায়। পাকা বা আধা-পাকা আম চিনির সিরায় রেখে ধীরে ধীরে জারিত করে তৈরি করা হয় এই পদটি। এটি শুধুমাত্র স্বাদের জন্য নয়, বরং অনেক সময় হজমের পরিপূরক হিসেবেও খাওয়া হয়ে থাকে।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! নাম !! পরিমাণ
|-
| আধা-পাকা কাঁচা আম || ১ কেজি
|-
| চিনি || ৭৫০ গ্রাম থেকে ১ কেজি (আমের টকত্ব অনুযায়ী)
|-
| পানি || ১ কাপ (সিরা তৈরির জন্য)
|-
| দারুচিনি || ২ টুকরো
|-
| এলাচ || ৩–৪টি
|-
| লবণ || ১/২ চা চামচ (সেদ্ধ করার সময়)
|-
| চুন পানি (ঐচ্ছিক) || ১ কাপ (আম নরম না করতে চাইলে)
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# প্রথমে আমগুলো ধুয়ে খোসা ছাড়িয়ে নিন এবং বড় বড় টুকরো করুন। চাইলে আমের রং ও আকৃতি ঠিক রাখতে ১ ঘণ্টা চুন পানিতে ডুবিয়ে রাখতে পারেন।
# এরপর পরিষ্কার পানিতে ভালোভাবে ধুয়ে নিয়ে লবণ মিশিয়ে হালকা সেদ্ধ করুন যাতে টুকরোগুলো একটু নরম হয় কিন্তু ভেঙে না যায়।
# অন্যদিকে, চিনি ও পানি দিয়ে একটি পাতলা সিরা তৈরি করুন। দারুচিনি ও এলাচ দিয়ে সিরার ঘ্রাণ বাড়িয়ে তুলুন।
# সেদ্ধ আম সিরায় দিয়ে মাঝারি আঁচে ১৫–২০ মিনিট রান্না করুন যাতে সিরা আমের ভিতরে ঢুকে যায়।
# এরপর ঠান্ডা করে বোতলে ভরে দিন। চাইলে প্রতিদিন ৫ মিনিট করে সিরা জ্বাল দিয়ে পুনরায় ঠান্ডা করে রাখলে সংরক্ষণ বেশি দিন চলে।
# মোরব্বা ভালোভাবে সিরায় ডুবে থাকলে সহজেই ৩–৪ মাস পর্যন্ত রেখে খাওয়া যায়।
<span style=color:red;><center>'''পরিপূর্ণ আহারের শেষে পরিবেশন করুন।'''</center></span>
== পরামর্শ ==
* মোরব্বা তৈরি করার সময় আমের টুকরো যেন ভেঙে না যায়, সেদিকে খেয়াল রাখা জরুরি।
* দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করতে চাইলে ভালোভাবে বোতলে রাখুন এবং প্রতিবার ব্যবহারের সময় শুকনা চামচ ব্যবহার করুন।
* সিরা বেশি পাতলা হলে সংরক্ষণের সময় দ্রুত খারাপ হতে পারে।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:বাংলাদেশী মিষ্টি]]
[[Category:ঐতিহ্যবাহী খাবার]]
[[Category:সংরক্ষণযোগ্য রান্না]]
6vlcv729kq08mkn338pqy1fs0atioc3
84581
84580
2025-06-17T01:34:09Z
Mehedi Abedin
7113
84581
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = আচার
| পরিবেশন = ১০–১২ জন
| তৈরির সময় = ১ ঘন্টা (তৈরি), ৩–৫ দিন (সংরক্ষণ)
| কষ্টসাধ্য = ৩
| খাদ্য শক্তি = উচ্চ
| টীকা = ঐতিহ্যবাহী সংরক্ষিত মিষ্টি খাবার।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''আমের মোরব্বা'''</big></center>
গ্রীষ্মকাল এলেই আমের বাহার আমাদের মন জয় করে। কাঁচা ও পাকা দুই ধরনের আমই বাঙালির রান্নায় বহুবিধভাবে ব্যবহৃত হয়। তারই একটি জনপ্রিয় ও ঐতিহ্যবাহী রূপ হলো আমের মোরব্বা। এটি মূলত একটি মিষ্টি ও আঠালো সংরক্ষণযোগ্য পদ যা দীর্ঘদিন ধরে খাওয়া যায়। পাকা বা আধা-পাকা আম চিনির সিরায় রেখে ধীরে ধীরে জারিত করে তৈরি করা হয় এই পদটি। এটি শুধুমাত্র স্বাদের জন্য নয়, বরং অনেক সময় হজমের পরিপূরক হিসেবেও খাওয়া হয়ে থাকে।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! নাম !! পরিমাণ
|-
| আধা-পাকা কাঁচা আম || ১ কেজি
|-
| চিনি || ৭৫০ গ্রাম থেকে ১ কেজি (আমের টকত্ব অনুযায়ী)
|-
| পানি || ১ কাপ (সিরা তৈরির জন্য)
|-
| দারুচিনি || ২ টুকরো
|-
| এলাচ || ৩–৪টি
|-
| লবণ || ১/২ চা চামচ (সেদ্ধ করার সময়)
|-
| চুন পানি (ঐচ্ছিক) || ১ কাপ (আম নরম না করতে চাইলে)
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# প্রথমে আমগুলো ধুয়ে খোসা ছাড়িয়ে নিন এবং বড় বড় টুকরো করুন। চাইলে আমের রং ও আকৃতি ঠিক রাখতে ১ ঘণ্টা চুন পানিতে ডুবিয়ে রাখতে পারেন।
# এরপর পরিষ্কার পানিতে ভালোভাবে ধুয়ে নিয়ে লবণ মিশিয়ে হালকা সেদ্ধ করুন যাতে টুকরোগুলো একটু নরম হয় কিন্তু ভেঙে না যায়।
# অন্যদিকে, চিনি ও পানি দিয়ে একটি পাতলা সিরা তৈরি করুন। দারুচিনি ও এলাচ দিয়ে সিরার ঘ্রাণ বাড়িয়ে তুলুন।
# সেদ্ধ আম সিরায় দিয়ে মাঝারি আঁচে ১৫–২০ মিনিট রান্না করুন যাতে সিরা আমের ভিতরে ঢুকে যায়।
# এরপর ঠান্ডা করে বোতলে ভরে দিন।
<span style=color:red;><center>'''পরিপূর্ণ আহারের শেষে পরিবেশন করুন।'''</center></span>
== পরামর্শ ==
* মোরব্বা তৈরি করার সময় আমের টুকরো যেন ভেঙে না যায়, সেদিকে খেয়াল রাখা জরুরি।
* দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করতে চাইলে ভালোভাবে বোতলে রাখুন এবং প্রতিবার ব্যবহারের সময় শুকনা চামচ ব্যবহার করুন।
* সিরা বেশি পাতলা হলে সংরক্ষণের সময় দ্রুত খারাপ হতে পারে।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:বাংলাদেশী মিষ্টি]]
[[Category:ঐতিহ্যবাহী খাবার]]
[[Category:সংরক্ষণযোগ্য রান্না]]
2gx6f9qkrzcxlz1ivizz8834zv446pj
84582
84581
2025-06-17T01:34:30Z
Mehedi Abedin
7113
84582
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = আচার
| পরিবেশন = ১০–১২ জন
| তৈরির সময় = ১ ঘন্টা (তৈরি), ৩–৫ দিন (সংরক্ষণ)
| কষ্টসাধ্য = ৩
| খাদ্য শক্তি = উচ্চ
| টীকা = ঐতিহ্যবাহী সংরক্ষিত মিষ্টি খাবার।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''আমের মোরব্বা'''</big></center>
গ্রীষ্মকাল এলেই আমের বাহার আমাদের মন জয় করে। কাঁচা ও পাকা দুই ধরনের আমই বাঙালির রান্নায় বহুবিধভাবে ব্যবহৃত হয়। তারই একটি জনপ্রিয় ও ঐতিহ্যবাহী রূপ হলো আমের মোরব্বা। এটি মূলত একটি মিষ্টি ও আঠালো সংরক্ষণযোগ্য পদ যা দীর্ঘদিন ধরে খাওয়া যায়। পাকা বা আধা-পাকা আম চিনির সিরায় রেখে ধীরে ধীরে জারিত করে তৈরি করা হয় এই পদটি। এটি শুধুমাত্র স্বাদের জন্য নয়, বরং অনেক সময় হজমের পরিপূরক হিসেবেও খাওয়া হয়ে থাকে।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! নাম !! পরিমাণ
|-
| আধা-পাকা কাঁচা আম || ১ কেজি
|-
| চিনি || ৭৫০ গ্রাম থেকে ১ কেজি (আমের টকত্ব অনুযায়ী)
|-
| পানি || ১ কাপ (সিরা তৈরির জন্য)
|-
| দারুচিনি || ২ টুকরো
|-
| এলাচ || ৩–৪টি
|-
| লবণ || ১/২ চা চামচ (সেদ্ধ করার সময়)
|-
| চুন পানি (ঐচ্ছিক) || ১ কাপ (আম নরম না করতে চাইলে)
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# প্রথমে আমগুলো ধুয়ে খোসা ছাড়িয়ে নিন এবং বড় বড় টুকরো করুন। চাইলে আমের রং ও আকৃতি ঠিক রাখতে ১ ঘণ্টা চুন পানিতে ডুবিয়ে রাখতে পারেন।
# এরপর পরিষ্কার পানিতে ভালোভাবে ধুয়ে নিয়ে লবণ মিশিয়ে হালকা সেদ্ধ করুন যাতে টুকরোগুলো একটু নরম হয় কিন্তু ভেঙে না যায়।
# অন্যদিকে, চিনি ও পানি দিয়ে একটি পাতলা সিরা তৈরি করুন। দারুচিনি ও এলাচ দিয়ে সিরার ঘ্রাণ বাড়িয়ে তুলুন।
# সেদ্ধ আম সিরায় দিয়ে মাঝারি আঁচে ১৫–২০ মিনিট রান্না করুন যাতে সিরা আমের ভিতরে ঢুকে যায়।
# এরপর ঠান্ডা করে বোতলে ভরে দিন।
<span style=color:red;><center>'''পরিপূর্ণ আহারের শেষে পরিবেশন করুন।'''</center></span>
== পরামর্শ ==
* প্রতিদিন ৫ মিনিট করে সিরা জ্বাল দিয়ে পুনরায় ঠান্ডা করে রাখলে সংরক্ষণ বেশি দিন চলে।
* মোরব্বা ভালোভাবে সিরায় ডুবে থাকলে সহজেই ৩–৪ মাস পর্যন্ত রেখে খাওয়া যায়।
* মোরব্বা তৈরি করার সময় আমের টুকরো যেন ভেঙে না যায়, সেদিকে খেয়াল রাখা জরুরি।
* দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করতে চাইলে ভালোভাবে বোতলে রাখুন এবং প্রতিবার ব্যবহারের সময় শুকনা চামচ ব্যবহার করুন।
* সিরা বেশি পাতলা হলে সংরক্ষণের সময় দ্রুত খারাপ হতে পারে।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:বাংলাদেশী মিষ্টি]]
[[Category:ঐতিহ্যবাহী খাবার]]
[[Category:সংরক্ষণযোগ্য রান্না]]
rsegl0vjrfxjn2zccp7wmpf23tj41bx
রন্ধনপ্রণালী:চাল কুমড়ার মোরব্বা
104
25892
84583
80779
2025-06-17T01:36:42Z
Mehedi Abedin
7113
84583
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = মিষ্টান্ন
| পরিবেশন = ১০–১২ জন
| তৈরির সময় = ১ ঘন্টা (তৈরি), ২–৩ দিন (জারিতকরণ)
| কষ্টসাধ্য = ৩
| খাদ্য শক্তি = উচ্চ
| টীকা = চাল কুমড়ার মোরব্বা একটি চিরায়ত বাঙালি মিষ্টান্ন যা দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করা যায় এবং স্বাদে অতুলনীয়।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''চাল কুমড়ার মোরব্বা'''</big></center>
চাল কুমড়া, যা বাংলার গ্রামাঞ্চলে খুব পরিচিত একটি সবজি, শুধুমাত্র তরকারিতেই নয় বরং একটি মিষ্টি সংরক্ষণযোগ্য পদ হিসেবেও ব্যবহৃত হয়। এই মিষ্টি পদটির নাম চাল কুমড়ার মোরব্বা। এটি মূলত চিনি ও মশলার হালকা মিশ্রণে ধীরে ধীরে জারিত করে তৈরি করা হয়, যা বহুদিন সংরক্ষণ করা যায়। বাঙালি রন্ধনপ্রেমী মহলে এটি দীর্ঘদিনের ঐতিহ্য বহন করে চলেছে। এটি শুধু মাত্র রসনাতৃপ্তি নয়, বরং স্বাস্থ্য উপকারিতা ও খাদ্য সংরক্ষণের কৌশল হিসেবেও এক অনন্য উদাহরণ।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! নাম !! পরিমাণ
|-
| চাল কুমড়া (ছোলা ও খোসা ছাড়া) || ১ কেজি
|-
| চিনি || ৭৫০ গ্রাম থেকে ১ কেজি (স্বাদ অনুযায়ী)
|-
| পানি || ১ কাপ
|-
| দারুচিনি || ২ টুকরো
|-
| এলাচ || ৩–৪টি
|-
| চুন পানি (ঐচ্ছিক) || ১ কাপ (কুমড়া শক্ত রাখার জন্য)
|-
| লবণ || ১/২ চা চামচ
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# প্রথমে চাল কুমড়ার খোসা ছাড়িয়ে ভেতরের বীজ বাদ দিয়ে বড় বড় টুকরো করে নিন। চাইলে পাতলা আকারে কেটে গোল আকৃতিও দিতে পারেন।
# চাইলে টুকরোগুলোকে ১ ঘণ্টার মতো চুন পানিতে ভিজিয়ে রাখুন যাতে সেদ্ধর পরেও সেগুলো শক্ত থাকে। পরে ভালোভাবে ধুয়ে নিতে ভুলবেন না।
# এরপর হালকা লবণ পানিতে চাল কুমড়ার টুকরো আধা সেদ্ধ করে নিন। তবে সাবধান—খুব নরম হলে মোরব্বার আকৃতি নষ্ট হয়ে যাবে।
# অন্যদিকে, চিনি ও পানি মিশিয়ে একটি হালকা সিরা তৈরি করুন। দারুচিনি ও এলাচ যোগ করে সিরাটিকে মিষ্টি সুগন্ধময় করুন।
# সেদ্ধ চাল কুমড়া সিরায় দিয়ে মাঝারি আঁচে রান্না করুন যতক্ষণ না সিরা কুমড়ার ভিতরে ঢুকে যায় ও কুমড়া সোনালি রঙ ধারণ করে।
# সিরা ঠান্ডা হলে কাঁচের বোতলে ভরে সংরক্ষণ করুন। চাইলে প্রতিদিন ২–৩ মিনিট হালকা জ্বাল দিয়ে আবার ঠান্ডা করে রাখতে পারেন।
== পরিবেশন ==
এই মোরব্বা সাধারণত আহারের শেষে পরিবেশন করা হয়। গরম ভাত বা পরোটার সাথেও এটি একটি অপূর্ব স্বাদ নিয়ে আসে। বিশেষ করে রমজানে বা ঈদে এটি অতিথিদের জন্য সুস্বাদু সংযোজন হতে পারে।
== টিপস ও পরামর্শ ==
* চুন পানি ব্যবহার করলে চাল কুমড়া অনেকদিন পর্যন্ত শক্ত ও আকৃতি ঠিক রাখে।
* সিরা ঘন হলে সংরক্ষণকাল বাড়ে। তবে অতিরিক্ত ঘন সিরায় কুমড়া শক্ত হয়ে যেতে পারে।
* মোরব্বা সংরক্ষণ করতে চাইলে শুকনো ও পরিষ্কার কাঁচের বোতলে ভরে রোদে দিলে আরও দীর্ঘস্থায়ী হবে।
== স্বাস্থ্য উপকারিতা ==
চাল কুমড়া হজমে সহায়ক এবং হালকা ঠান্ডা লাগলে উপকারে আসে। এটি ক্যালোরি সমৃদ্ধ হলেও অতিরিক্ত মিষ্টি হওয়ায় ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য সঠিক নয়। চিনি সীমিত রেখে মাঝেমধ্যে স্বাদ বদলের জন্য উপভোগ করা যায়।
== ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপট ==
চাল কুমড়া বহুদিন ধরেই বাঙালি পরিবারে একটি উপকারী সবজি হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। কৃষিজ সমাজে যখন ফলমূল সংরক্ষণের কোনো আধুনিক পদ্ধতি ছিল না, তখন কুমড়া দিয়ে তৈরি মোরব্বা ছিল এক জনপ্রিয় মিষ্টান্ন। মুঘল আমলে চাল কুমড়ার মোরব্বা দপ্তরে পরিবেশনের প্রচলন ছিল।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:বাংলাদেশি মিষ্টি]]
[[Category:ঐতিহ্যবাহী খাবার]]
[[Category:সংরক্ষণযোগ্য রান্না]]
harr7vjvmo2bbcf78odfknri39jifzc
84584
84583
2025-06-17T01:36:53Z
Mehedi Abedin
7113
84584
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = মিষ্টান্ন
| পরিবেশন = ১০–১২ জন
| তৈরির সময় = ১ ঘন্টা (তৈরি), ২–৩ দিন (জারিতকরণ)
| কষ্টসাধ্য = ৩
| খাদ্য শক্তি = উচ্চ
| টীকা = চাল কুমড়ার মোরব্বা একটি চিরায়ত বাঙালি মিষ্টান্ন যা দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করা যায় এবং স্বাদে অতুলনীয়।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''চাল কুমড়ার মোরব্বা'''</big></center>
চাল কুমড়া, যা বাংলার গ্রামাঞ্চলে খুব পরিচিত একটি সবজি, শুধুমাত্র তরকারিতেই নয় বরং একটি মিষ্টি সংরক্ষণযোগ্য পদ হিসেবেও ব্যবহৃত হয়। এই মিষ্টি পদটির নাম চাল কুমড়ার মোরব্বা। এটি মূলত চিনি ও মশলার হালকা মিশ্রণে ধীরে ধীরে জারিত করে তৈরি করা হয়, যা বহুদিন সংরক্ষণ করা যায়। বাঙালি রন্ধনপ্রেমী মহলে এটি দীর্ঘদিনের ঐতিহ্য বহন করে চলেছে। এটি শুধু মাত্র রসনাতৃপ্তি নয়, বরং স্বাস্থ্য উপকারিতা ও খাদ্য সংরক্ষণের কৌশল হিসেবেও এক অনন্য উদাহরণ।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! নাম !! পরিমাণ
|-
| চাল কুমড়া (ছোলা ও খোসা ছাড়া) || ১ কেজি
|-
| চিনি || ৭৫০ গ্রাম থেকে ১ কেজি (স্বাদ অনুযায়ী)
|-
| পানি || ১ কাপ
|-
| দারুচিনি || ২ টুকরো
|-
| এলাচ || ৩–৪টি
|-
| চুন পানি (ঐচ্ছিক) || ১ কাপ (কুমড়া শক্ত রাখার জন্য)
|-
| লবণ || ১/২ চা চামচ
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# প্রথমে চাল কুমড়ার খোসা ছাড়িয়ে ভেতরের বীজ বাদ দিয়ে বড় বড় টুকরো করে নিন। চাইলে পাতলা আকারে কেটে গোল আকৃতিও দিতে পারেন।
# চাইলে টুকরোগুলোকে ১ ঘণ্টার মতো চুন পানিতে ভিজিয়ে রাখুন যাতে সেদ্ধর পরেও সেগুলো শক্ত থাকে। পরে ভালোভাবে ধুয়ে নিতে ভুলবেন না।
# এরপর হালকা লবণ পানিতে চাল কুমড়ার টুকরো আধা সেদ্ধ করে নিন। তবে সাবধান—খুব নরম হলে মোরব্বার আকৃতি নষ্ট হয়ে যাবে।
# অন্যদিকে, চিনি ও পানি মিশিয়ে একটি হালকা সিরা তৈরি করুন। দারুচিনি ও এলাচ যোগ করে সিরাটিকে মিষ্টি সুগন্ধময় করুন।
# সেদ্ধ চাল কুমড়া সিরায় দিয়ে মাঝারি আঁচে রান্না করুন যতক্ষণ না সিরা কুমড়ার ভিতরে ঢুকে যায় ও কুমড়া সোনালি রঙ ধারণ করে।
# সিরা ঠান্ডা হলে কাঁচের বোতলে ভরে সংরক্ষণ করুন। চাইলে প্রতিদিন ২–৩ মিনিট হালকা জ্বাল দিয়ে আবার ঠান্ডা করে রাখতে পারেন।
== পরিবেশন ==
এই মোরব্বা সাধারণত আহারের শেষে পরিবেশন করা হয়। গরম ভাত বা পরোটার সাথেও এটি একটি অপূর্ব স্বাদ নিয়ে আসে। বিশেষ করে রমজানে বা ঈদে এটি অতিথিদের জন্য সুস্বাদু সংযোজন হতে পারে।
== টিপস ও পরামর্শ ==
* চুন পানি ব্যবহার করলে চাল কুমড়া অনেকদিন পর্যন্ত শক্ত ও আকৃতি ঠিক রাখে।
* সিরা ঘন হলে সংরক্ষণকাল বাড়ে। তবে অতিরিক্ত ঘন সিরায় কুমড়া শক্ত হয়ে যেতে পারে।
* মোরব্বা সংরক্ষণ করতে চাইলে শুকনো ও পরিষ্কার কাঁচের বোতলে ভরে রোদে দিলে আরও দীর্ঘস্থায়ী হবে।
== স্বাস্থ্য উপকারিতা ==
চাল কুমড়া হজমে সহায়ক এবং হালকা ঠান্ডা লাগলে উপকারে আসে। এটি ক্যালোরি সমৃদ্ধ হলেও অতিরিক্ত মিষ্টি হওয়ায় ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য সঠিক নয়। চিনি সীমিত রেখে মাঝেমধ্যে স্বাদ বদলের জন্য উপভোগ করা যায়।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:বাংলাদেশি মিষ্টি]]
[[Category:ঐতিহ্যবাহী খাবার]]
[[Category:সংরক্ষণযোগ্য রান্না]]
nvvnwed9vaa3br12gsqm11i8fcz8bsp
84585
84584
2025-06-17T01:37:04Z
Mehedi Abedin
7113
84585
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = মিষ্টান্ন
| পরিবেশন = ১০–১২ জন
| তৈরির সময় = ১ ঘন্টা (তৈরি), ২–৩ দিন (জারিতকরণ)
| কষ্টসাধ্য = ৩
| খাদ্য শক্তি = উচ্চ
| টীকা = চাল কুমড়ার মোরব্বা একটি চিরায়ত বাঙালি মিষ্টান্ন যা দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করা যায় এবং স্বাদে অতুলনীয়।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''চাল কুমড়ার মোরব্বা'''</big></center>
চাল কুমড়া, যা বাংলার গ্রামাঞ্চলে খুব পরিচিত একটি সবজি, শুধুমাত্র তরকারিতেই নয় বরং একটি মিষ্টি সংরক্ষণযোগ্য পদ হিসেবেও ব্যবহৃত হয়। এই মিষ্টি পদটির নাম চাল কুমড়ার মোরব্বা। এটি মূলত চিনি ও মশলার হালকা মিশ্রণে ধীরে ধীরে জারিত করে তৈরি করা হয়, যা বহুদিন সংরক্ষণ করা যায়। বাঙালি রন্ধনপ্রেমী মহলে এটি দীর্ঘদিনের ঐতিহ্য বহন করে চলেছে। এটি শুধু মাত্র রসনাতৃপ্তি নয়, বরং স্বাস্থ্য উপকারিতা ও খাদ্য সংরক্ষণের কৌশল হিসেবেও এক অনন্য উদাহরণ।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! নাম !! পরিমাণ
|-
| চাল কুমড়া (ছোলা ও খোসা ছাড়া) || ১ কেজি
|-
| চিনি || ৭৫০ গ্রাম থেকে ১ কেজি (স্বাদ অনুযায়ী)
|-
| পানি || ১ কাপ
|-
| দারুচিনি || ২ টুকরো
|-
| এলাচ || ৩–৪টি
|-
| চুন পানি (ঐচ্ছিক) || ১ কাপ (কুমড়া শক্ত রাখার জন্য)
|-
| লবণ || ১/২ চা চামচ
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# প্রথমে চাল কুমড়ার খোসা ছাড়িয়ে ভেতরের বীজ বাদ দিয়ে বড় বড় টুকরো করে নিন। চাইলে পাতলা আকারে কেটে গোল আকৃতিও দিতে পারেন।
# চাইলে টুকরোগুলোকে ১ ঘণ্টার মতো চুন পানিতে ভিজিয়ে রাখুন যাতে সেদ্ধর পরেও সেগুলো শক্ত থাকে। পরে ভালোভাবে ধুয়ে নিতে ভুলবেন না।
# এরপর হালকা লবণ পানিতে চাল কুমড়ার টুকরো আধা সেদ্ধ করে নিন। তবে সাবধান—খুব নরম হলে মোরব্বার আকৃতি নষ্ট হয়ে যাবে।
# অন্যদিকে, চিনি ও পানি মিশিয়ে একটি হালকা সিরা তৈরি করুন। দারুচিনি ও এলাচ যোগ করে সিরাটিকে মিষ্টি সুগন্ধময় করুন।
# সেদ্ধ চাল কুমড়া সিরায় দিয়ে মাঝারি আঁচে রান্না করুন যতক্ষণ না সিরা কুমড়ার ভিতরে ঢুকে যায় ও কুমড়া সোনালি রঙ ধারণ করে।
# সিরা ঠান্ডা হলে কাঁচের বোতলে ভরে সংরক্ষণ করুন। চাইলে প্রতিদিন ২–৩ মিনিট হালকা জ্বাল দিয়ে আবার ঠান্ডা করে রাখতে পারেন।
== পরিবেশন ==
এই মোরব্বা সাধারণত আহারের শেষে পরিবেশন করা হয়। গরম ভাত বা পরোটার সাথেও এটি একটি অপূর্ব স্বাদ নিয়ে আসে। বিশেষ করে রমজানে বা ঈদে এটি অতিথিদের জন্য সুস্বাদু সংযোজন হতে পারে।
== টিপস ও পরামর্শ ==
* চুন পানি ব্যবহার করলে চাল কুমড়া অনেকদিন পর্যন্ত শক্ত ও আকৃতি ঠিক রাখে।
* সিরা ঘন হলে সংরক্ষণকাল বাড়ে। তবে অতিরিক্ত ঘন সিরায় কুমড়া শক্ত হয়ে যেতে পারে।
* মোরব্বা সংরক্ষণ করতে চাইলে শুকনো ও পরিষ্কার কাঁচের বোতলে ভরে রোদে দিলে আরও দীর্ঘস্থায়ী হবে।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:বাংলাদেশি মিষ্টি]]
[[Category:ঐতিহ্যবাহী খাবার]]
[[Category:সংরক্ষণযোগ্য রান্না]]
3t59liajxyak50ex6z0lhta56crr3d4
84586
84585
2025-06-17T01:37:13Z
Mehedi Abedin
7113
84586
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = মিষ্টান্ন
| পরিবেশন = ১০–১২ জন
| তৈরির সময় = ১ ঘন্টা (তৈরি), ২–৩ দিন (জারিতকরণ)
| কষ্টসাধ্য = ৩
| খাদ্য শক্তি = উচ্চ
| টীকা = চাল কুমড়ার মোরব্বা একটি চিরায়ত বাঙালি মিষ্টান্ন যা দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করা যায় এবং স্বাদে অতুলনীয়।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''চাল কুমড়ার মোরব্বা'''</big></center>
চাল কুমড়া, যা বাংলার গ্রামাঞ্চলে খুব পরিচিত একটি সবজি, শুধুমাত্র তরকারিতেই নয় বরং একটি মিষ্টি সংরক্ষণযোগ্য পদ হিসেবেও ব্যবহৃত হয়। এই মিষ্টি পদটির নাম চাল কুমড়ার মোরব্বা। এটি মূলত চিনি ও মশলার হালকা মিশ্রণে ধীরে ধীরে জারিত করে তৈরি করা হয়, যা বহুদিন সংরক্ষণ করা যায়। বাঙালি রন্ধনপ্রেমী মহলে এটি দীর্ঘদিনের ঐতিহ্য বহন করে চলেছে। এটি শুধু মাত্র রসনাতৃপ্তি নয়, বরং স্বাস্থ্য উপকারিতা ও খাদ্য সংরক্ষণের কৌশল হিসেবেও এক অনন্য উদাহরণ।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! নাম !! পরিমাণ
|-
| চাল কুমড়া (ছোলা ও খোসা ছাড়া) || ১ কেজি
|-
| চিনি || ৭৫০ গ্রাম থেকে ১ কেজি (স্বাদ অনুযায়ী)
|-
| পানি || ১ কাপ
|-
| দারুচিনি || ২ টুকরো
|-
| এলাচ || ৩–৪টি
|-
| চুন পানি (ঐচ্ছিক) || ১ কাপ (কুমড়া শক্ত রাখার জন্য)
|-
| লবণ || ১/২ চা চামচ
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# প্রথমে চাল কুমড়ার খোসা ছাড়িয়ে ভেতরের বীজ বাদ দিয়ে বড় বড় টুকরো করে নিন। চাইলে পাতলা আকারে কেটে গোল আকৃতিও দিতে পারেন।
# চাইলে টুকরোগুলোকে ১ ঘণ্টার মতো চুন পানিতে ভিজিয়ে রাখুন যাতে সেদ্ধর পরেও সেগুলো শক্ত থাকে। পরে ভালোভাবে ধুয়ে নিতে ভুলবেন না।
# এরপর হালকা লবণ পানিতে চাল কুমড়ার টুকরো আধা সেদ্ধ করে নিন। তবে সাবধান—খুব নরম হলে মোরব্বার আকৃতি নষ্ট হয়ে যাবে।
# অন্যদিকে, চিনি ও পানি মিশিয়ে একটি হালকা সিরা তৈরি করুন। দারুচিনি ও এলাচ যোগ করে সিরাটিকে মিষ্টি সুগন্ধময় করুন।
# সেদ্ধ চাল কুমড়া সিরায় দিয়ে মাঝারি আঁচে রান্না করুন যতক্ষণ না সিরা কুমড়ার ভিতরে ঢুকে যায় ও কুমড়া সোনালি রঙ ধারণ করে।
# সিরা ঠান্ডা হলে কাঁচের বোতলে ভরে সংরক্ষণ করুন। চাইলে প্রতিদিন ২–৩ মিনিট হালকা জ্বাল দিয়ে আবার ঠান্ডা করে রাখতে পারেন।
== পরিবেশন ==
এই মোরব্বা সাধারণত আহারের শেষে পরিবেশন করা হয়। গরম ভাত বা পরোটার সাথেও এটি একটি অপূর্ব স্বাদ নিয়ে আসে। বিশেষ করে রমজানে বা ঈদে এটি অতিথিদের জন্য সুস্বাদু সংযোজন হতে পারে।
== পরামর্শ ==
* চুন পানি ব্যবহার করলে চাল কুমড়া অনেকদিন পর্যন্ত শক্ত ও আকৃতি ঠিক রাখে।
* সিরা ঘন হলে সংরক্ষণকাল বাড়ে। তবে অতিরিক্ত ঘন সিরায় কুমড়া শক্ত হয়ে যেতে পারে।
* মোরব্বা সংরক্ষণ করতে চাইলে শুকনো ও পরিষ্কার কাঁচের বোতলে ভরে রোদে দিলে আরও দীর্ঘস্থায়ী হবে।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:বাংলাদেশি মিষ্টি]]
[[Category:ঐতিহ্যবাহী খাবার]]
[[Category:সংরক্ষণযোগ্য রান্না]]
kbaszf0egv675sbk2bxwm2fjf14mg8i
84587
84586
2025-06-17T01:37:45Z
Mehedi Abedin
7113
84587
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = মিষ্টান্ন
| পরিবেশন = ১০–১২ জন
| তৈরির সময় = ১ ঘন্টা (তৈরি), ২–৩ দিন (জারিতকরণ)
| কষ্টসাধ্য = ৩
| খাদ্য শক্তি = উচ্চ
| টীকা = চাল কুমড়ার মোরব্বা একটি চিরায়ত বাঙালি মিষ্টান্ন যা দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করা যায় এবং স্বাদে অতুলনীয়।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''চাল কুমড়ার মোরব্বা'''</big></center>
চাল কুমড়া, যা বাংলার গ্রামাঞ্চলে খুব পরিচিত একটি সবজি, শুধুমাত্র তরকারিতেই নয় বরং একটি মিষ্টি সংরক্ষণযোগ্য পদ হিসেবেও ব্যবহৃত হয়। এই মিষ্টি পদটির নাম চাল কুমড়ার মোরব্বা। এটি মূলত চিনি ও মশলার হালকা মিশ্রণে ধীরে ধীরে জারিত করে তৈরি করা হয়, যা বহুদিন সংরক্ষণ করা যায়। বাঙালি রন্ধনপ্রেমী মহলে এটি দীর্ঘদিনের ঐতিহ্য বহন করে চলেছে। এটি শুধু মাত্র রসনাতৃপ্তি নয়, বরং স্বাস্থ্য উপকারিতা ও খাদ্য সংরক্ষণের কৌশল হিসেবেও এক অনন্য উদাহরণ।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! নাম !! পরিমাণ
|-
| চাল কুমড়া (ছোলা ও খোসা ছাড়া) || ১ কেজি
|-
| চিনি || ৭৫০ গ্রাম থেকে ১ কেজি (স্বাদ অনুযায়ী)
|-
| পানি || ১ কাপ
|-
| দারুচিনি || ২ টুকরো
|-
| এলাচ || ৩–৪টি
|-
| চুন পানি (ঐচ্ছিক) || ১ কাপ (কুমড়া শক্ত রাখার জন্য)
|-
| লবণ || ১/২ চা চামচ
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# প্রথমে চাল কুমড়ার খোসা ছাড়িয়ে ভেতরের বীজ বাদ দিয়ে বড় বড় টুকরো করে নিন। চাইলে পাতলা আকারে কেটে গোল আকৃতিও দিতে পারেন।
# চাইলে টুকরোগুলোকে ১ ঘণ্টার মতো চুন পানিতে ভিজিয়ে রাখুন যাতে সেদ্ধর পরেও সেগুলো শক্ত থাকে। পরে ভালোভাবে ধুয়ে নিতে ভুলবেন না।
# এরপর হালকা লবণ পানিতে চাল কুমড়ার টুকরো আধা সেদ্ধ করে নিন। তবে সাবধান—খুব নরম হলে মোরব্বার আকৃতি নষ্ট হয়ে যাবে।
# অন্যদিকে, চিনি ও পানি মিশিয়ে একটি হালকা সিরা তৈরি করুন। দারুচিনি ও এলাচ যোগ করে সিরাটিকে মিষ্টি সুগন্ধময় করুন।
# সেদ্ধ চাল কুমড়া সিরায় দিয়ে মাঝারি আঁচে রান্না করুন যতক্ষণ না সিরা কুমড়ার ভিতরে ঢুকে যায় ও কুমড়া সোনালি রঙ ধারণ করে।
# সিরা ঠান্ডা হলে কাঁচের বোতলে ভরে সংরক্ষণ করুন। চাইলে প্রতিদিন ২–৩ মিনিট হালকা জ্বাল দিয়ে আবার ঠান্ডা করে রাখতে পারেন।
<span style=color:red;><center>'''আহারের শেষে পরিবেশন করুন।'''</center></span>
== পরামর্শ ==
* চুন পানি ব্যবহার করলে চাল কুমড়া অনেকদিন পর্যন্ত শক্ত ও আকৃতি ঠিক রাখে।
* সিরা ঘন হলে সংরক্ষণকাল বাড়ে। তবে অতিরিক্ত ঘন সিরায় কুমড়া শক্ত হয়ে যেতে পারে।
* মোরব্বা সংরক্ষণ করতে চাইলে শুকনো ও পরিষ্কার কাঁচের বোতলে ভরে রোদে দিলে আরও দীর্ঘস্থায়ী হবে।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:বাংলাদেশি মিষ্টি]]
[[Category:ঐতিহ্যবাহী খাবার]]
[[Category:সংরক্ষণযোগ্য রান্না]]
8pgiu7bkwca4486koqzfnnq4eh2lhut
84588
84587
2025-06-17T01:38:38Z
Mehedi Abedin
7113
84588
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = মিষ্টান্ন
| পরিবেশন = ১০–১২ জন
| তৈরির সময় = ১ ঘন্টা (তৈরি), ২–৩ দিন (জারিতকরণ)
| কষ্টসাধ্য = ৩
| খাদ্য শক্তি = উচ্চ
| টীকা = একটি চিরায়ত বাঙালি মিষ্টান্ন যা দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করা যায় এবং স্বাদে অতুলনীয়।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''চাল কুমড়ার মোরব্বা'''</big></center>
চাল কুমড়া বাংলার গ্রামাঞ্চলে খুব পরিচিত একটি সবজি, এটি শুধুমাত্র তরকারিতেই নয় বরং একটি সংরক্ষণযোগ্য মিষ্টি পদ হিসেবেও ব্যবহৃত হয়। এই মিষ্টি পদটির নাম চাল কুমড়ার মোরব্বা। এটি মূলত চিনি ও মশলার হালকা মিশ্রণে ধীরে ধীরে জারিত করে তৈরি করা হয়, যা বহুদিন সংরক্ষণ করা যায়। বাঙালি রন্ধনপ্রেমী মহলে এটি দীর্ঘদিনের ঐতিহ্য বহন করে চলেছে।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! নাম !! পরিমাণ
|-
| চাল কুমড়া (ছোলা ও খোসা ছাড়া) || ১ কেজি
|-
| চিনি || ৭৫০ গ্রাম থেকে ১ কেজি (স্বাদ অনুযায়ী)
|-
| পানি || ১ কাপ
|-
| দারুচিনি || ২ টুকরো
|-
| এলাচ || ৩–৪টি
|-
| চুন পানি (ঐচ্ছিক) || ১ কাপ (কুমড়া শক্ত রাখার জন্য)
|-
| লবণ || ১/২ চা চামচ
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# প্রথমে চাল কুমড়ার খোসা ছাড়িয়ে ভেতরের বীজ বাদ দিয়ে বড় বড় টুকরো করে নিন। চাইলে পাতলা আকারে কেটে গোল আকৃতিও দিতে পারেন।
# চাইলে টুকরোগুলোকে ১ ঘণ্টার মতো চুন পানিতে ভিজিয়ে রাখুন যাতে সেদ্ধর পরেও সেগুলো শক্ত থাকে। পরে ভালোভাবে ধুয়ে নিতে ভুলবেন না।
# এরপর হালকা লবণ পানিতে চাল কুমড়ার টুকরো আধা সেদ্ধ করে নিন। তবে সাবধান—খুব নরম হলে মোরব্বার আকৃতি নষ্ট হয়ে যাবে।
# অন্যদিকে, চিনি ও পানি মিশিয়ে একটি হালকা সিরা তৈরি করুন। দারুচিনি ও এলাচ যোগ করে সিরাটিকে মিষ্টি সুগন্ধময় করুন।
# সেদ্ধ চাল কুমড়া সিরায় দিয়ে মাঝারি আঁচে রান্না করুন যতক্ষণ না সিরা কুমড়ার ভিতরে ঢুকে যায় ও কুমড়া সোনালি রঙ ধারণ করে।
# সিরা ঠান্ডা হলে কাঁচের বোতলে ভরে সংরক্ষণ করুন। চাইলে প্রতিদিন ২–৩ মিনিট হালকা জ্বাল দিয়ে আবার ঠান্ডা করে রাখতে পারেন।
<span style=color:red;><center>'''আহারের শেষে পরিবেশন করুন।'''</center></span>
== পরামর্শ ==
* চুন পানি ব্যবহার করলে চাল কুমড়া অনেকদিন পর্যন্ত শক্ত ও আকৃতি ঠিক রাখে।
* সিরা ঘন হলে সংরক্ষণকাল বাড়ে। তবে অতিরিক্ত ঘন সিরায় কুমড়া শক্ত হয়ে যেতে পারে।
* মোরব্বা সংরক্ষণ করতে চাইলে শুকনো ও পরিষ্কার কাঁচের বোতলে ভরে রোদে দিলে আরও দীর্ঘস্থায়ী হবে।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:বাংলাদেশি মিষ্টি]]
[[Category:ঐতিহ্যবাহী খাবার]]
[[Category:সংরক্ষণযোগ্য রান্না]]
kdfi7ml6m8t3tboyuqjyc99splyz3nq
84589
84588
2025-06-17T01:40:01Z
Mehedi Abedin
7113
84589
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = মিষ্টান্ন
| পরিবেশন = ১০–১২ জন
| তৈরির সময় = ১ ঘন্টা (তৈরি), ২–৩ দিন (জারিতকরণ)
| কষ্টসাধ্য = ৩
| খাদ্য শক্তি = উচ্চ
| টীকা = একটি চিরায়ত বাঙালি মিষ্টান্ন যা দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করা যায় এবং স্বাদে অতুলনীয়।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''চাল কুমড়ার মোরব্বা'''</big></center>
চাল কুমড়া বাংলার গ্রামাঞ্চলে খুব পরিচিত একটি সবজি, এটি শুধুমাত্র তরকারিতেই নয় বরং একটি সংরক্ষণযোগ্য মিষ্টি পদ হিসেবেও ব্যবহৃত হয়। এই মিষ্টি পদটির নাম চাল কুমড়ার মোরব্বা। এটি মূলত চিনি ও মশলার হালকা মিশ্রণে ধীরে ধীরে জারিত করে তৈরি করা হয়, যা বহুদিন সংরক্ষণ করা যায়। বাঙালি রন্ধনপ্রেমী মহলে এটি দীর্ঘদিনের ঐতিহ্য বহন করে চলেছে।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! নাম !! পরিমাণ
|-
| চাল কুমড়া (ছোলা ও খোসা ছাড়া) || ১ কেজি
|-
| চিনি || ৭৫০ গ্রাম থেকে ১ কেজি (স্বাদ অনুযায়ী)
|-
| পানি || ১ কাপ
|-
| দারুচিনি || ২ টুকরো
|-
| এলাচ || ৩–৪টি
|-
| চুন পানি (ঐচ্ছিক) || ১ কাপ (কুমড়া শক্ত রাখার জন্য)
|-
| লবণ || ১/২ চা চামচ
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# প্রথমে চাল কুমড়ার খোসা ছাড়িয়ে ভেতরের বীজ বাদ দিয়ে বড় বড় টুকরো করে নিন। চাইলে পাতলা আকারে কেটে গোল আকৃতিও দিতে পারেন।
# চাইলে টুকরোগুলোকে ১ ঘণ্টার মতো চুন পানিতে ভিজিয়ে রাখুন যাতে সেদ্ধর পরেও সেগুলো শক্ত থাকে। পরে ভালোভাবে ধুয়ে নিতে ভুলবেন না।
# এরপর হালকা লবণ পানিতে চাল কুমড়ার টুকরো আধা সেদ্ধ করে নিন। তবে সাবধান—খুব নরম হলে মোরব্বার আকৃতি নষ্ট হয়ে যাবে।
# অন্যদিকে, চিনি ও পানি মিশিয়ে একটি হালকা সিরা তৈরি করুন। দারুচিনি ও এলাচ যোগ করে সিরাটিকে মিষ্টি সুগন্ধময় করুন।
# সেদ্ধ চাল কুমড়া সিরায় দিয়ে মাঝারি আঁচে রান্না করুন যতক্ষণ না সিরা কুমড়ার ভিতরে ঢুকে যায় ও কুমড়া সোনালি রঙ ধারণ করে।
# সিরা ঠান্ডা হলে কাঁচের বোতলে ভরে সংরক্ষণ করুন। চাইলে প্রতিদিন ২–৩ মিনিট হালকা জ্বাল দিয়ে আবার ঠান্ডা করে রাখতে পারেন।
<span style=color:red;><center>'''আহারের শেষে পরিবেশন করুন।'''</center></span>
== পরামর্শ ==
* চুন পানি ব্যবহার করলে চালকুমড়া অনেকদিন পর্যন্ত শক্ত থাকে ও আকৃতি ঠিক রাখে।
* সিরা ঘন হলে সংরক্ষণকাল বাড়ে। তবে অতিরিক্ত ঘন সিরায় কুমড়া শক্ত হয়ে যেতে পারে।
* মোরব্বা সংরক্ষণ করতে চাইলে শুকনো ও পরিষ্কার কাঁচের বোতলে ভরে রোদে দিলে আরও দীর্ঘস্থায়ী হবে।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:বাংলাদেশি মিষ্টি]]
[[Category:ঐতিহ্যবাহী খাবার]]
[[Category:সংরক্ষণযোগ্য রান্না]]
pve79uzn70in3wd4grcjmgc5juhtgn2
রন্ধনপ্রণালী:কচুপাতা ভর্তা
104
25898
84590
80788
2025-06-17T01:41:11Z
Mehedi Abedin
7113
84590
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = ভর্তা
| পরিবেশন = ৩–৪ জন
| তৈরির সময় = ৪৫ মিনিট
| কষ্টসাধ্য = ৩
| খাদ্য শক্তি = মাঝারি
| টীকা = কচুপাতা ভর্তা একটি গ্রামীণ জনপ্রিয় খাবার, যা সরিষা, কাঁচা লঙ্কা ও রসুন দিয়ে তৈরি হয়।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''কচুপাতা ভর্তা'''</big></center>
বাংলার গ্রাম্য রান্নার অন্যতম ঐতিহ্যবাহী একটি পদ হচ্ছে কচুপাতা ভর্তা। কচুর পাতার স্বাদ ও গন্ধ যেমন আলাদা, তেমনি এর পুষ্টিগুণও বেশ উল্লেখযোগ্য। গ্রামের মানুষ কচুপাতা সংগ্রহ করে তা ধুয়ে, সিদ্ধ করে, বিশেষভাবে মশলা মিশিয়ে এক ধরণের দারুণ ভর্তা তৈরি করে থাকে। এটি ভাতের সঙ্গে খাওয়া হয় এবং বিশেষ করে বর্ষাকালে কচুপাতা ভর্তা বেশ জনপ্রিয়তা পায়।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! উপকরণ !! পরিমাণ
|-
| কচুর পাতা || ৮–১০টি (পরিষ্কার করে ধোয়া)
|-
| পেঁয়াজ কুচি || ১/২ কাপ
|-
| রসুন কোয়া || ৪–৫টি
|-
| কাঁচা লঙ্কা || ৫–৬টি (ঝাল অনুযায়ী)
|-
| সরিষার তেল || ২ টেবিল চামচ
|-
| লবণ || স্বাদ অনুযায়ী
|-
| হলুদ গুঁড়ো || ১/৪ চা চামচ
|-
| শুকনা মরিচ || ২–৩টি (ভর্তার ওপর দেওয়ার জন্য)
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# কচুর পাতা ভালোভাবে ধুয়ে কুঁচিয়ে নিন। পাতাগুলোর কান্ড ও মোটা শিরা অংশ বাদ দিয়ে শুধু নরম অংশ ব্যবহার করুন।
# একটি হাঁড়িতে পানি দিয়ে পাতাগুলো সিদ্ধ করে নিন। সাথে সামান্য লবণ ও হলুদ দিন যাতে চুলকানি না হয়।
# সিদ্ধ হওয়ার পরে পানি ঝরিয়ে নিন এবং ঠান্ডা হতে দিন।
# এখন একটি মাটির শিল-নোড়া বা পাটায় কচুপাতা, রসুন, কাঁচা লঙ্কা ও লবণ একসাথে বাটুন। চাইলে পেঁয়াজ কুচি কাঁচা বা হালকা ভেজে মেশানো যায়।
# অন্যদিকে সরিষার তেলে শুকনা মরিচ ও পেঁয়াজ কুচি ভেজে নিন। এটি বাটানো মিশ্রণের সঙ্গে ভালোভাবে মিশিয়ে ভর্তা তৈরি করুন।
# পরিবেশনের সময় উপর থেকে সামান্য সরিষার তেল ছিটিয়ে দিন, এতে স্বাদ আরও বেড়ে যাবে।
== পরিবেশন ==
কচুপাতা ভর্তা সাধারণত গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করা হয়। এটি দুপুরের ভোজনকে এক অনন্য গ্রামীণ স্বাদ দেয়। কচুর পাতার হালকা তিতকুটে স্বাদ, সরিষার তেল ও ঝালের সংমিশ্রণে এটি একটি শক্তিশালী রুচিবর্ধক খাবার হিসেবে বিবেচিত।
== পরামর্শ ==
* কচুপাতা সিদ্ধ করার সময় পর্যাপ্ত হলুদ ব্যবহার করুন যাতে কোনো চুলকানি না থাকে।
* যদি কচুপাতা কচি না হয়, তবে একটু বেশি সিদ্ধ করে নিন।
* পেঁয়াজ হালকা ভেজে দিলে এর ঝাঁজ কমে যায় এবং ভর্তায় সুন্দর ঘ্রাণ আসে।
* শিল-পাটায় বাটলে স্বাদ আরও প্রকৃত ও ঘরোয়া হয়।
== স্বাস্থ্য উপকারিতা ==
কচুর পাতা ফাইবার, আয়রন, ক্যালসিয়াম এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর। এটি হজমে সাহায্য করে, রক্তশূন্যতা প্রতিরোধে কার্যকর এবং ত্বকের জন্যও উপকারী। তবে, ঠিকভাবে সিদ্ধ না করলে এতে থাকা কিছু উপাদান চুলকানি বা অ্যালার্জির কারণ হতে পারে, তাই রান্নার সময় সতর্ক থাকতে হয়।
== ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট ==
বাংলার বিভিন্ন অঞ্চলে কচুপাতা দিয়ে রান্না বহুকাল ধরে প্রচলিত। একসময় এটি ছিল দরিদ্র কৃষক শ্রেণির মুখরোচক খাবার, কিন্তু আজকাল শহরাঞ্চলেও গ্রামীণ রান্নার স্বাদ নিতে চাইলে কচুপাতা ভর্তা একটি প্রধান পদ হয়ে উঠেছে। রংপুর ও ময়মনসিংহ অঞ্চলে বর্ষাকালে কচুপাতা সংগ্রহ করে এটি বিভিন্নভাবে রান্না করার প্রচলন রয়েছে, কখনও শুকিয়ে, কখনও ভর্তা করে।
[[Category:ভর্তা]]
[[Category:বাংলাদেশি খাবার]]
[[Category:গ্রামীণ রন্ধনপ্রণালী]]
aw5a3jramyxebbskrmyc6vc5zvmnkjm
84591
84590
2025-06-17T01:41:21Z
Mehedi Abedin
7113
84591
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = ভর্তা
| পরিবেশন = ৩–৪ জন
| তৈরির সময় = ৪৫ মিনিট
| কষ্টসাধ্য = ৩
| খাদ্য শক্তি = মাঝারি
| টীকা = কচুপাতা ভর্তা একটি গ্রামীণ জনপ্রিয় খাবার, যা সরিষা, কাঁচা লঙ্কা ও রসুন দিয়ে তৈরি হয়।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''কচুপাতা ভর্তা'''</big></center>
বাংলার গ্রাম্য রান্নার অন্যতম ঐতিহ্যবাহী একটি পদ হচ্ছে কচুপাতা ভর্তা। কচুর পাতার স্বাদ ও গন্ধ যেমন আলাদা, তেমনি এর পুষ্টিগুণও বেশ উল্লেখযোগ্য। গ্রামের মানুষ কচুপাতা সংগ্রহ করে তা ধুয়ে, সিদ্ধ করে, বিশেষভাবে মশলা মিশিয়ে এক ধরণের দারুণ ভর্তা তৈরি করে থাকে। এটি ভাতের সঙ্গে খাওয়া হয় এবং বিশেষ করে বর্ষাকালে কচুপাতা ভর্তা বেশ জনপ্রিয়তা পায়।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! উপকরণ !! পরিমাণ
|-
| কচুর পাতা || ৮–১০টি (পরিষ্কার করে ধোয়া)
|-
| পেঁয়াজ কুচি || ১/২ কাপ
|-
| রসুন কোয়া || ৪–৫টি
|-
| কাঁচা লঙ্কা || ৫–৬টি (ঝাল অনুযায়ী)
|-
| সরিষার তেল || ২ টেবিল চামচ
|-
| লবণ || স্বাদ অনুযায়ী
|-
| হলুদ গুঁড়ো || ১/৪ চা চামচ
|-
| শুকনা মরিচ || ২–৩টি (ভর্তার ওপর দেওয়ার জন্য)
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# কচুর পাতা ভালোভাবে ধুয়ে কুঁচিয়ে নিন। পাতাগুলোর কান্ড ও মোটা শিরা অংশ বাদ দিয়ে শুধু নরম অংশ ব্যবহার করুন।
# একটি হাঁড়িতে পানি দিয়ে পাতাগুলো সিদ্ধ করে নিন। সাথে সামান্য লবণ ও হলুদ দিন যাতে চুলকানি না হয়।
# সিদ্ধ হওয়ার পরে পানি ঝরিয়ে নিন এবং ঠান্ডা হতে দিন।
# এখন একটি মাটির শিল-নোড়া বা পাটায় কচুপাতা, রসুন, কাঁচা লঙ্কা ও লবণ একসাথে বাটুন। চাইলে পেঁয়াজ কুচি কাঁচা বা হালকা ভেজে মেশানো যায়।
# অন্যদিকে সরিষার তেলে শুকনা মরিচ ও পেঁয়াজ কুচি ভেজে নিন। এটি বাটানো মিশ্রণের সঙ্গে ভালোভাবে মিশিয়ে ভর্তা তৈরি করুন।
# পরিবেশনের সময় উপর থেকে সামান্য সরিষার তেল ছিটিয়ে দিন, এতে স্বাদ আরও বেড়ে যাবে।
== পরিবেশন ==
কচুপাতা ভর্তা সাধারণত গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করা হয়। এটি দুপুরের ভোজনকে এক অনন্য গ্রামীণ স্বাদ দেয়। কচুর পাতার হালকা তিতকুটে স্বাদ, সরিষার তেল ও ঝালের সংমিশ্রণে এটি একটি শক্তিশালী রুচিবর্ধক খাবার হিসেবে বিবেচিত।
== পরামর্শ ==
* কচুপাতা সিদ্ধ করার সময় পর্যাপ্ত হলুদ ব্যবহার করুন যাতে কোনো চুলকানি না থাকে।
* যদি কচুপাতা কচি না হয়, তবে একটু বেশি সিদ্ধ করে নিন।
* পেঁয়াজ হালকা ভেজে দিলে এর ঝাঁজ কমে যায় এবং ভর্তায় সুন্দর ঘ্রাণ আসে।
* শিল-পাটায় বাটলে স্বাদ আরও প্রকৃত ও ঘরোয়া হয়।
== স্বাস্থ্য উপকারিতা ==
কচুর পাতা ফাইবার, আয়রন, ক্যালসিয়াম এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর। এটি হজমে সাহায্য করে, রক্তশূন্যতা প্রতিরোধে কার্যকর এবং ত্বকের জন্যও উপকারী। তবে, ঠিকভাবে সিদ্ধ না করলে এতে থাকা কিছু উপাদান চুলকানি বা অ্যালার্জির কারণ হতে পারে, তাই রান্নার সময় সতর্ক থাকতে হয়।
[[Category:ভর্তা]]
[[Category:বাংলাদেশি খাবার]]
[[Category:গ্রামীণ রন্ধনপ্রণালী]]
kqtjfc4ev6u7jbu0ylk5byclgjo6cgu
84592
84591
2025-06-17T01:41:30Z
Mehedi Abedin
7113
84592
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = ভর্তা
| পরিবেশন = ৩–৪ জন
| তৈরির সময় = ৪৫ মিনিট
| কষ্টসাধ্য = ৩
| খাদ্য শক্তি = মাঝারি
| টীকা = কচুপাতা ভর্তা একটি গ্রামীণ জনপ্রিয় খাবার, যা সরিষা, কাঁচা লঙ্কা ও রসুন দিয়ে তৈরি হয়।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''কচুপাতা ভর্তা'''</big></center>
বাংলার গ্রাম্য রান্নার অন্যতম ঐতিহ্যবাহী একটি পদ হচ্ছে কচুপাতা ভর্তা। কচুর পাতার স্বাদ ও গন্ধ যেমন আলাদা, তেমনি এর পুষ্টিগুণও বেশ উল্লেখযোগ্য। গ্রামের মানুষ কচুপাতা সংগ্রহ করে তা ধুয়ে, সিদ্ধ করে, বিশেষভাবে মশলা মিশিয়ে এক ধরণের দারুণ ভর্তা তৈরি করে থাকে। এটি ভাতের সঙ্গে খাওয়া হয় এবং বিশেষ করে বর্ষাকালে কচুপাতা ভর্তা বেশ জনপ্রিয়তা পায়।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! উপকরণ !! পরিমাণ
|-
| কচুর পাতা || ৮–১০টি (পরিষ্কার করে ধোয়া)
|-
| পেঁয়াজ কুচি || ১/২ কাপ
|-
| রসুন কোয়া || ৪–৫টি
|-
| কাঁচা লঙ্কা || ৫–৬টি (ঝাল অনুযায়ী)
|-
| সরিষার তেল || ২ টেবিল চামচ
|-
| লবণ || স্বাদ অনুযায়ী
|-
| হলুদ গুঁড়ো || ১/৪ চা চামচ
|-
| শুকনা মরিচ || ২–৩টি (ভর্তার ওপর দেওয়ার জন্য)
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# কচুর পাতা ভালোভাবে ধুয়ে কুঁচিয়ে নিন। পাতাগুলোর কান্ড ও মোটা শিরা অংশ বাদ দিয়ে শুধু নরম অংশ ব্যবহার করুন।
# একটি হাঁড়িতে পানি দিয়ে পাতাগুলো সিদ্ধ করে নিন। সাথে সামান্য লবণ ও হলুদ দিন যাতে চুলকানি না হয়।
# সিদ্ধ হওয়ার পরে পানি ঝরিয়ে নিন এবং ঠান্ডা হতে দিন।
# এখন একটি মাটির শিল-নোড়া বা পাটায় কচুপাতা, রসুন, কাঁচা লঙ্কা ও লবণ একসাথে বাটুন। চাইলে পেঁয়াজ কুচি কাঁচা বা হালকা ভেজে মেশানো যায়।
# অন্যদিকে সরিষার তেলে শুকনা মরিচ ও পেঁয়াজ কুচি ভেজে নিন। এটি বাটানো মিশ্রণের সঙ্গে ভালোভাবে মিশিয়ে ভর্তা তৈরি করুন।
# পরিবেশনের সময় উপর থেকে সামান্য সরিষার তেল ছিটিয়ে দিন, এতে স্বাদ আরও বেড়ে যাবে।
== পরিবেশন ==
কচুপাতা ভর্তা সাধারণত গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করা হয়। এটি দুপুরের ভোজনকে এক অনন্য গ্রামীণ স্বাদ দেয়। কচুর পাতার হালকা তিতকুটে স্বাদ, সরিষার তেল ও ঝালের সংমিশ্রণে এটি একটি শক্তিশালী রুচিবর্ধক খাবার হিসেবে বিবেচিত।
== পরামর্শ ==
* কচুপাতা সিদ্ধ করার সময় পর্যাপ্ত হলুদ ব্যবহার করুন যাতে কোনো চুলকানি না থাকে।
* যদি কচুপাতা কচি না হয়, তবে একটু বেশি সিদ্ধ করে নিন।
* পেঁয়াজ হালকা ভেজে দিলে এর ঝাঁজ কমে যায় এবং ভর্তায় সুন্দর ঘ্রাণ আসে।
* শিল-পাটায় বাটলে স্বাদ আরও প্রকৃত ও ঘরোয়া হয়।
[[Category:ভর্তা]]
[[Category:বাংলাদেশি খাবার]]
[[Category:গ্রামীণ রন্ধনপ্রণালী]]
5bttgyp8c4i265qszioxn3gddqszsl5
84593
84592
2025-06-17T01:41:57Z
Mehedi Abedin
7113
84593
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = ভর্তা
| পরিবেশন = ৩–৪ জন
| তৈরির সময় = ৪৫ মিনিট
| কষ্টসাধ্য = ৩
| খাদ্য শক্তি = মাঝারি
| টীকা = কচুপাতা ভর্তা একটি গ্রামীণ জনপ্রিয় খাবার, যা সরিষা, কাঁচা লঙ্কা ও রসুন দিয়ে তৈরি হয়।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''কচুপাতা ভর্তা'''</big></center>
বাংলার গ্রাম্য রান্নার অন্যতম ঐতিহ্যবাহী একটি পদ হচ্ছে কচুপাতা ভর্তা। কচুর পাতার স্বাদ ও গন্ধ যেমন আলাদা, তেমনি এর পুষ্টিগুণও বেশ উল্লেখযোগ্য। গ্রামের মানুষ কচুপাতা সংগ্রহ করে তা ধুয়ে, সিদ্ধ করে, বিশেষভাবে মশলা মিশিয়ে এক ধরণের দারুণ ভর্তা তৈরি করে থাকে। এটি ভাতের সঙ্গে খাওয়া হয় এবং বিশেষ করে বর্ষাকালে কচুপাতা ভর্তা বেশ জনপ্রিয়তা পায়।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! উপকরণ !! পরিমাণ
|-
| কচুর পাতা || ৮–১০টি (পরিষ্কার করে ধোয়া)
|-
| পেঁয়াজ কুচি || ১/২ কাপ
|-
| রসুন কোয়া || ৪–৫টি
|-
| কাঁচা লঙ্কা || ৫–৬টি (ঝাল অনুযায়ী)
|-
| সরিষার তেল || ২ টেবিল চামচ
|-
| লবণ || স্বাদ অনুযায়ী
|-
| হলুদ গুঁড়ো || ১/৪ চা চামচ
|-
| শুকনা মরিচ || ২–৩টি (ভর্তার ওপর দেওয়ার জন্য)
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# কচুর পাতা ভালোভাবে ধুয়ে কুঁচিয়ে নিন। পাতাগুলোর কান্ড ও মোটা শিরা অংশ বাদ দিয়ে শুধু নরম অংশ ব্যবহার করুন।
# একটি হাঁড়িতে পানি দিয়ে পাতাগুলো সিদ্ধ করে নিন। সাথে সামান্য লবণ ও হলুদ দিন যাতে চুলকানি না হয়।
# সিদ্ধ হওয়ার পরে পানি ঝরিয়ে নিন এবং ঠান্ডা হতে দিন।
# এখন একটি মাটির শিল-নোড়া বা পাটায় কচুপাতা, রসুন, কাঁচা লঙ্কা ও লবণ একসাথে বাটুন। চাইলে পেঁয়াজ কুচি কাঁচা বা হালকা ভেজে মেশানো যায়।
# অন্যদিকে সরিষার তেলে শুকনা মরিচ ও পেঁয়াজ কুচি ভেজে নিন। এটি বাটানো মিশ্রণের সঙ্গে ভালোভাবে মিশিয়ে ভর্তা তৈরি করুন।
# পরিবেশনের সময় উপর থেকে সামান্য সরিষার তেল ছিটিয়ে দিন, এতে স্বাদ আরও বেড়ে যাবে।
<span style=color:red;><center>'''গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন।'''</center></span>
== পরামর্শ ==
* কচুপাতা সিদ্ধ করার সময় পর্যাপ্ত হলুদ ব্যবহার করুন যাতে কোনো চুলকানি না থাকে।
* যদি কচুপাতা কচি না হয়, তবে একটু বেশি সিদ্ধ করে নিন।
* পেঁয়াজ হালকা ভেজে দিলে এর ঝাঁজ কমে যায় এবং ভর্তায় সুন্দর ঘ্রাণ আসে।
* শিল-পাটায় বাটলে স্বাদ আরও প্রকৃত ও ঘরোয়া হয়।
[[Category:ভর্তা]]
[[Category:বাংলাদেশি খাবার]]
[[Category:গ্রামীণ রন্ধনপ্রণালী]]
gn472xikrxwr9ntbc5qsqjukeyb4exb
84594
84593
2025-06-17T01:42:08Z
Mehedi Abedin
7113
84594
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = ভর্তা
| পরিবেশন = ৩–৪ জন
| তৈরির সময় = ৪৫ মিনিট
| কষ্টসাধ্য = ৩
| খাদ্য শক্তি = মাঝারি
| টীকা = কচুপাতা ভর্তা একটি গ্রামীণ জনপ্রিয় খাবার, যা সরিষা, কাঁচা লঙ্কা ও রসুন দিয়ে তৈরি হয়।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''কচুপাতা ভর্তা'''</big></center>
বাংলার গ্রাম্য রান্নার অন্যতম ঐতিহ্যবাহী একটি পদ হচ্ছে কচুপাতা ভর্তা। কচুর পাতার স্বাদ ও গন্ধ যেমন আলাদা, তেমনি এর পুষ্টিগুণও বেশ উল্লেখযোগ্য। গ্রামের মানুষ কচুপাতা সংগ্রহ করে তা ধুয়ে, সিদ্ধ করে, বিশেষভাবে মশলা মিশিয়ে এক ধরণের দারুণ ভর্তা তৈরি করে থাকে। এটি ভাতের সঙ্গে খাওয়া হয় এবং বিশেষ করে বর্ষাকালে কচুপাতা ভর্তা বেশ জনপ্রিয়তা পায়।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! উপকরণ !! পরিমাণ
|-
| কচুর পাতা || ৮–১০টি (পরিষ্কার করে ধোয়া)
|-
| পেঁয়াজ কুচি || ১/২ কাপ
|-
| রসুন কোয়া || ৪–৫টি
|-
| কাঁচা লঙ্কা || ৫–৬টি (ঝাল অনুযায়ী)
|-
| সরিষার তেল || ২ টেবিল চামচ
|-
| লবণ || স্বাদ অনুযায়ী
|-
| হলুদ গুঁড়ো || ১/৪ চা চামচ
|-
| শুকনা মরিচ || ২–৩টি (ভর্তার ওপর দেওয়ার জন্য)
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# কচুর পাতা ভালোভাবে ধুয়ে কুঁচিয়ে নিন। পাতাগুলোর কান্ড ও মোটা শিরা অংশ বাদ দিয়ে শুধু নরম অংশ ব্যবহার করুন।
# একটি হাঁড়িতে পানি দিয়ে পাতাগুলো সিদ্ধ করে নিন। সাথে সামান্য লবণ ও হলুদ দিন যাতে চুলকানি না হয়।
# সিদ্ধ হওয়ার পরে পানি ঝরিয়ে নিন এবং ঠান্ডা হতে দিন।
# এখন একটি মাটির শিল-নোড়া বা পাটায় কচুপাতা, রসুন, কাঁচা লঙ্কা ও লবণ একসাথে বাটুন। চাইলে পেঁয়াজ কুচি কাঁচা বা হালকা ভেজে মেশানো যায়।
# অন্যদিকে সরিষার তেলে শুকনা মরিচ ও পেঁয়াজ কুচি ভেজে নিন। এটি বাটানো মিশ্রণের সঙ্গে ভালোভাবে মিশিয়ে ভর্তা তৈরি করুন।
# পরিবেশনের সময় উপর থেকে সামান্য সরিষার তেল ছিটিয়ে দিন, এতে স্বাদ আরও বেড়ে যাবে।
<span style=color:red;><center>'''গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন।'''</center></span>
== পরামর্শ ==
* কচুপাতা সিদ্ধ করার সময় পর্যাপ্ত হলুদ ব্যবহার করুন যাতে কোনো চুলকানি না থাকে।
* যদি কচুপাতা কচি না হয়, তবে একটু বেশি সিদ্ধ করে নিন।
* পেঁয়াজ হালকা ভেজে দিলে এর ঝাঁজ কমে যায় এবং ভর্তায় সুন্দর ঘ্রাণ আসে।
* শিল-পাটায় বাটলে স্বাদ আরও প্রকৃত ও ঘরোয়া হয়।
[[Category:ভর্তা]]
[[Category:বাংলাদেশী খাবার]]
[[Category:গ্রামীণ রন্ধনপ্রণালী]]
s1df995jkgvaf5v5vbkuc19y96ulsfe
84595
84594
2025-06-17T01:42:51Z
Mehedi Abedin
7113
84595
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = ভর্তা
| পরিবেশন = ৩–৪ জন
| তৈরির সময় = ৪৫ মিনিট
| কষ্টসাধ্য = ৩
| খাদ্য শক্তি = মাঝারি
| টীকা = জনপ্রিয় গ্রামীণ খাবার যা সরিষা, কাঁচা লঙ্কা ও রসুন দিয়ে তৈরি হয়।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''কচুপাতা ভর্তা'''</big></center>
বাংলার গ্রাম্য রান্নার অন্যতম ঐতিহ্যবাহী একটি পদ হচ্ছে কচুপাতা ভর্তা। কচুর পাতার স্বাদ ও গন্ধ যেমন আলাদা, তেমনি এর পুষ্টিগুণও বেশ উল্লেখযোগ্য। গ্রামের মানুষ কচুপাতা সংগ্রহ করে তা ধুয়ে, সিদ্ধ করে, বিশেষভাবে মশলা মিশিয়ে এক ধরণের দারুণ ভর্তা তৈরি করে থাকে। এটি ভাতের সঙ্গে খাওয়া হয় এবং বিশেষ করে বর্ষাকালে কচুপাতা ভর্তা বেশ জনপ্রিয়।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! উপকরণ !! পরিমাণ
|-
| কচুর পাতা || ৮–১০টি (পরিষ্কার করে ধোয়া)
|-
| পেঁয়াজ কুচি || ১/২ কাপ
|-
| রসুন কোয়া || ৪–৫টি
|-
| কাঁচা লঙ্কা || ৫–৬টি (ঝাল অনুযায়ী)
|-
| সরিষার তেল || ২ টেবিল চামচ
|-
| লবণ || স্বাদ অনুযায়ী
|-
| হলুদ গুঁড়ো || ১/৪ চা চামচ
|-
| শুকনা মরিচ || ২–৩টি (ভর্তার ওপর দেওয়ার জন্য)
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# কচুর পাতা ভালোভাবে ধুয়ে কুঁচিয়ে নিন। পাতাগুলোর কান্ড ও মোটা শিরা অংশ বাদ দিয়ে শুধু নরম অংশ ব্যবহার করুন।
# একটি হাঁড়িতে পানি দিয়ে পাতাগুলো সিদ্ধ করে নিন। সাথে সামান্য লবণ ও হলুদ দিন যাতে চুলকানি না হয়।
# সিদ্ধ হওয়ার পরে পানি ঝরিয়ে নিন এবং ঠান্ডা হতে দিন।
# এখন একটি মাটির শিল-নোড়া বা পাটায় কচুপাতা, রসুন, কাঁচা লঙ্কা ও লবণ একসাথে বাটুন। চাইলে পেঁয়াজ কুচি কাঁচা বা হালকা ভেজে মেশানো যায়।
# অন্যদিকে সরিষার তেলে শুকনা মরিচ ও পেঁয়াজ কুচি ভেজে নিন। এটি বাটানো মিশ্রণের সঙ্গে ভালোভাবে মিশিয়ে ভর্তা তৈরি করুন।
# পরিবেশনের সময় উপর থেকে সামান্য সরিষার তেল ছিটিয়ে দিন, এতে স্বাদ আরও বেড়ে যাবে।
<span style=color:red;><center>'''গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন।'''</center></span>
== পরামর্শ ==
* কচুপাতা সিদ্ধ করার সময় পর্যাপ্ত হলুদ ব্যবহার করুন যাতে কোনো চুলকানি না থাকে।
* যদি কচুপাতা কচি না হয়, তবে একটু বেশি সিদ্ধ করে নিন।
* পেঁয়াজ হালকা ভেজে দিলে এর ঝাঁজ কমে যায় এবং ভর্তায় সুন্দর ঘ্রাণ আসে।
* শিল-পাটায় বাটলে স্বাদ আরও প্রকৃত ও ঘরোয়া হয়।
[[Category:ভর্তা]]
[[Category:বাংলাদেশী খাবার]]
[[Category:গ্রামীণ রন্ধনপ্রণালী]]
prb3lo8ieb4hwhyomvtvkpkg65wuj86
84596
84595
2025-06-17T01:44:57Z
Mehedi Abedin
7113
84596
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = ভর্তা
| পরিবেশন = ৩–৪ জন
| তৈরির সময় = ৪৫ মিনিট
| কষ্টসাধ্য = ৩
| খাদ্য শক্তি = মাঝারি
| টীকা = জনপ্রিয় গ্রামীণ খাবার যা সরিষা, কাঁচা লঙ্কা ও রসুন দিয়ে তৈরি হয়।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''কচুপাতা ভর্তা'''</big></center>
বাংলার গ্রাম্য রান্নার অন্যতম ঐতিহ্যবাহী একটি পদ হচ্ছে কচুপাতা ভর্তা। কচুর পাতার স্বাদ ও গন্ধ যেমন আলাদা, তেমনি এর পুষ্টিগুণও বেশ উল্লেখযোগ্য। গ্রামের মানুষ কচুপাতা সংগ্রহ করে তা ধুয়ে, সিদ্ধ করে, বিশেষভাবে মশলা মিশিয়ে এক ধরণের দারুণ ভর্তা তৈরি করে থাকে। এটি ভাতের সঙ্গে খাওয়া হয় এবং বিশেষ করে বর্ষাকালে কচুপাতা ভর্তা বেশ জনপ্রিয়।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! উপকরণ !! পরিমাণ
|-
| কচুর পাতা || ৮–১০টি (পরিষ্কার করে ধোয়া)
|-
| পেঁয়াজ কুচি || ১/২ কাপ
|-
| রসুন কোয়া || ৪–৫টি
|-
| কাঁচা লঙ্কা || ৫–৬টি (ঝাল অনুযায়ী)
|-
| সরিষার তেল || ২ টেবিল চামচ
|-
| লবণ || স্বাদ অনুযায়ী
|-
| হলুদ গুঁড়ো || ১/৪ চা চামচ
|-
| শুকনা মরিচ || ২–৩টি (ভর্তার ওপর দেওয়ার জন্য)
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# কচুর পাতা ভালোভাবে ধুয়ে কুঁচিয়ে নিন। পাতাগুলোর কান্ড ও মোটা শিরা অংশ বাদ দিয়ে শুধু নরম অংশ ব্যবহার করুন।
# একটি হাঁড়িতে পানি দিয়ে পাতাগুলো সিদ্ধ করে নিন। সাথে সামান্য লবণ ও হলুদ দিন যাতে চুলকানি না হয়।
# সিদ্ধ হওয়ার পরে পানি ঝরিয়ে নিন এবং ঠান্ডা হতে দিন।
# এখন একটি মাটির শিল-নোড়া বা পাটায় কচুপাতা, রসুন, কাঁচা লঙ্কা ও লবণ একসাথে বাটুন। চাইলে পেঁয়াজ কুচি কাঁচা বা হালকা ভেজে মেশানো যায়।
# অন্যদিকে সরিষার তেলে শুকনা মরিচ ও পেঁয়াজ কুচি ভেজে নিন। এটি বাটানো মিশ্রণের সঙ্গে ভালোভাবে মিশিয়ে ভর্তা তৈরি করুন।
# পরিবেশনের সময় উপর থেকে সামান্য সরিষার তেল ছিটিয়ে দিন, এতে স্বাদ আরও বেড়ে যাবে।
<span style=color:red;><center>'''গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন।'''</center></span>
== পরামর্শ ==
* কচুপাতা সিদ্ধ করার সময় পর্যাপ্ত হলুদ ব্যবহার করুন যাতে কোনো চুলকানি না থাকে।
* যদি কচুপাতা কচি না হয়, তবে একটু বেশি সিদ্ধ করে নিন।
* পেঁয়াজ হালকা ভেজে নিলে এর ঝাঁজ কমে যায় এবং ভর্তায় সুন্দর ঘ্রাণ আসে।
* শিল-পাটায় বাটলে স্বাদ আরও ভালো ও ঘরোয়া হয়।
[[Category:ভর্তা]]
[[Category:বাংলাদেশী খাবার]]
[[Category:গ্রামীণ রন্ধনপ্রণালী]]
lhumu2iz700fpbkav3cpcp4jerrslx6
জাপানের ইতিহাস: পুরাণ থেকে জাতিসত্ত্বা/মুরোমাচি যুগ/নানবোকু-চো যুগ
0
26660
84422
84159
2025-06-16T16:31:03Z
NusJaS
8394
/* কামাকুরা থেকে মুরোমাচি পর্যন্ত জমিদারি (শোয়েন) ব্যবস্থার বিবর্তন */
84422
wikitext
text/x-wiki
নানবোকু-চো যুগ (南北朝時代, নানবোকু-চো জিদাই) ১৩৩৬ সাল থেকে ১৩৯২ সাল পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। এটি মুরোমাচি যুগের একটি অংশ ছিল।
এই সময়ে দুটি সাম্রাজ্যীয় দরবার ছিল। এরমধ্যে কিয়োতোতে আশিকাগা তাকাউজি প্রতিষ্ঠা করেছিল উত্তর সাম্রাজ্যীয় দরবার; এবং সম্রাট গো-দাইগো ইয়োশিনোতে প্রতিষ্ঠা করেছিল ক্ষিণ সাম্রাজ্যীয় দরবার।
মতাদর্শগতভাবে, এই দুই দরবার প্রায় পঞ্চাশ বছর ধরে সংঘর্ষে লিপ্ত ছিল। তবে ১৩৯২ সালে দক্ষিণ দরবার উত্তর দরবারের কাছে আত্মসমর্পণ করে। বাস্তবে, উত্তর রাজবংশ ছিল আশিকাগা শোগুনদের নিয়ন্ত্রণাধীন এবং তাদের বাস্তবিক স্বাধীনতা খুবই সীমিত ছিল।
উনবিংশ শতাব্দী থেকে শুরু করে দক্ষিণ দরবারের সম্রাটদের জাপানের বৈধ সম্রাট হিসেবে গণ্য করা হয়। এর পেছনে কিছু কারণ ছিল—দক্ষিণ দরবারের হাতে জাপানি সম্রাজ্ঞী রাজমুকুট ও প্রতীকগুলোর নিয়ন্ত্রণ, এবং কিতাবাতাকে চিকাফুসার লেখা ''জিন্নো শোতোকি'' ছিল। এটি তাদের পরাজয়ের পরেও দক্ষিণ দরবারের বৈধতাকে সমর্থন করেছিল।
এই সময়কালের ঘটনাগুলোর প্রভাব এখনও আধুনিক জাপানের প্রচলিত দৃষ্টিভঙ্গিতে সম্রাট ব্যবস্থা (তেননো সেইকা) প্রভাবশালী হতে থাকে। রাষ্ট্রীয় শিন্তো ধর্মের প্রভাবে ১৯১১ সালের ৩ মার্চ জারিকৃত এক সাম্রাজ্যীয় ডিক্রিতে এই সময়ের বৈধ রাজাদের দক্ষিণ দরবারের সদস্য বলেই ঘোষণা করা হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর, কুমাজাওয়া হিরোমিচি থেকে শুরু করে একদল দাবিদার নিজেদের দক্ষিণ দরবার থেকে বংশোদ্ভূত দাবি করে এবং উত্তর দরবার থেকে আসা রাজবংশের আধুনিক সাম্রাজ্যীয় ধারার বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে।
১৩৩৩ সালে কামাকুরা শোগুনাতের পতন এবং ১৩৩৬ সালে কেম্মু পুনর্গঠনের ব্যর্থতা নতুন শাসনব্যবস্থার বৈধতা নিয়ে সংকট তৈরি করে। পাশাপাশি, অভিজাত এবং যোদ্ধাদের আয়ের ভিত্তি জমিদারি ব্যবস্থায় (শোয়েন) কাঠামোগত পরিবর্তন সমাজের বিভিন্ন শ্রেণির অবস্থান পরিবর্তনে বড় ভূমিকা রাখে। নানবোকু-চো যুদ্ধের মধ্য দিয়ে যে মুরোমাচি শাসন ব্যবস্থা উদ্ভূত হয়, তা যোদ্ধা শ্রেণির অর্থনৈতিক ভিত্তিকে প্রসারিত করে। তবে অভিজাত মালিকদের ক্ষমতা হ্রাস করে। এটি কামাকুরা বাকুফুর সময় থেকেই শুরু হয়েছিল।
== কামাকুরা বাকুফুর পতন ==
গৃহযুদ্ধের সূচনায় অবদান রাখা প্রধান কারণ ছিল—হোজো পরিবার ও অন্যান্য যোদ্ধা গোষ্ঠীর মধ্যে ক্রমবর্ধমান বিরোধ। এটি ১২৭৪ এবং ১২৮১ সালের মঙ্গোল আক্রমণের পর থেকে বৃদ্ধি পায়। এছাড়াও আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ ছিল কেম্মু পুনর্গঠনের ব্যর্থতা। এটি সম্রাট-অনুগামী ও আশিকাগা গোষ্ঠীর সমর্থকদের মধ্যে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করে।
১৩শ শতাব্দীর শেষদিকে হোজো-নেতৃত্বাধীন কামাকুরা শাসনের প্রতি যোদ্ধাদের মধ্যে অসন্তোষ বৃদ্ধি পায়। এই অসন্তোষের মূল কারণ ছিল, হোজোদের অন্যান্য যোদ্ধা পরিবারগুলোর ওপর ক্রমবর্ধমান আধিপত্য বিস্তার। বিশেষ করে হোজো তোকিমুনের (১২৬৮–১২৮৪) শাসনকালে মঙ্গোল সংকটের সময় এই কেন্দ্রীয়করণ আরও প্রকট হয়। সে সময়ে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটে: হোজো পরিবারে রাজ্য পরিষদে নিয়োগ বৃদ্ধি পায়; হোজোদের ব্যক্তিগত পারিবারিক পরিষদই প্রধান সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী সংস্থা হয়ে ওঠে; এবং হোজোর সরাসরি অধীনস্থ করদ রাজ্যগুলো ক্রমবর্ধমানভাবে শুগো (প্রাদেশিক গভর্নর) হিসেবে উন্নীত করা হয়। এর ফলে তারা কেবলমাত্র নিজেদের পরিবারের সদস্য ও সরাসরি অধীনস্ত করদ রাজ্যগুলোর অন্তর্ভুক্ত করার ফলে বৃহত্তর ভিত্তির সমর্থন হারায়। ১৩৩১ সালে হোজোর বিরুদ্ধে এক জোট গঠিত হলে তার শাসনব্যবস্থার পতন ঘটাতে মাত্র দুই বছর সময় লেগেছিল।
ত্রয়োদশ শতাব্দীর শেষের দিকে যোদ্ধাদের মধ্যে হোজো-নেতৃত্বাধীন কামাকুরা শাসনের প্রতি অসন্তোষ দেখা দেয়। এই বিরক্তি শাসনের মধ্যে অন্যান্য যোদ্ধা পরিবারের উপর হোজোর প্রভাবের কারণে ঘটেছিল। হোজো টোকিমুনের রাজত্বকালে (১২৬৮-১২৮৪ খ্রিষ্টাব্দ) ক্ষমতার এই কেন্দ্রীকরণের পেছনে মঙ্গোল আক্রমণ মূল কারণ ছিল। সঙ্কটের সময়, তিনটি জিনিস ঘটেছিল: হোজো পরিবারের কাউন্সিল অফ স্টেটে নিয়োগ বেড়েছে; হোজো প্রাইভেট ফ্যামিলি কাউন্সিল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী সংস্থা হয়ে ওঠে। হোজোর সরাসরি শুগো পোস্টে উন্নীত হয়েছিল। তারা মূলত সমর্থনের বিস্তৃত ভিত্তির ব্যয়ে কেবল হোজো পরিবারের সদস্য এবং সরাসরি অন্তর্ভুক্ত করে তাদের নির্বাচনী এলাকাগুলোকে সংকীর্ণ করেছিল। ১৩৩১ সালে যখন হোজোর বিরুদ্ধে একটি জোট গঠিত হয়,
তখন কৃষিভিত্তিক সমাজে সম্পদের মূল উৎস ছিল জমি, এবং মধ্যযুগীয় জাপানেও এর ব্যতিক্রম ছিল না। প্রকৃতপক্ষে, যোদ্ধা শ্রেণির মধ্যে বেশিরভাগ অসন্তোষের মূল কারণ ছিল জমি। মিনামোতো গোষ্ঠীর উত্থানের পর থেকে যুদ্ধজয়ের পুরস্কার হিসেবে ভূমি দান ছিল যোদ্ধাদের জন্য একটি স্বীকৃত প্রথা। কিন্তু মঙ্গোল আক্রমণ ছিল ব্যতিক্রম, কারণ এটি বিদেশী শত্রুর বিরুদ্ধে দেশরক্ষার যুদ্ধ ছিল, অন্য কোনও যোদ্ধা গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে নয়। ফলে বিদেশী শত্রুর পরাজয়ের পরে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার হিসেবে তুলে দেওয়ার মতো কোনও জমি ছিল না। এই পরিস্থিতি বিশেষভাবে কঠিন ছিল সেই যোদ্ধাদের জন্য, যারা বীরত্বের সাথে যুদ্ধ করেছিল এবং জমির জন্য হোজো শাসকদের কাছে আবেদন করেছিল। চতুর্দশ শতাব্দীর শুরুতেই এই অসন্তোষ নতুন যে কোনও শাসন ব্যবস্থার ওপর প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি করেছিল। এই শ্রেণিকে সন্তুষ্ট না করতে পারলে নতুন শাসনের স্থায়িত্ব ছিল অনিশ্চিত।
নানবোকু-চো যুদ্ধ ছিল একটি মতাদর্শগত লড়াই—একদিকে ছিল যারা সম্রাটের পুনঃস্থাপন চেয়েছিল, অন্যদিকে ছিল যারা কামাকুরা শাসনের আদলে একটি নতুন যোদ্ধা শাসন প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিল। যেন জাপানের ইতিহাসের পূর্ববর্তী হেইয়ান ও কামাকুরা যুগের মধ্যে মতাদর্শগত সংঘর্ষ ঘটছিল। কিতাবাতাকে চিকাফুসার মতো অভিজাত যোদ্ধারা বুঝতে পারতেন যে পুনর্গঠনে যোদ্ধাদের অংশগ্রহণ প্রয়োজন, তবে মতাদর্শগত স্তরে তাকাউজির সঙ্গে তার তীব্র মতভেদ ছিল, যা ভবিষ্যতের নেতৃত্বেও প্রভাব ফেলেছিল। যুদ্ধের মধ্যেই তৈরি হয় নতুন মুরোমাচি শাসন, যা কেম্মু পুনর্গঠনের ব্যর্থতার সরাসরি ফলাফল ছিল।
== অনুগত সম্পর্ক ও মুরোমাচি বাকুফুর উত্থান ==
উভয় পক্ষের মধ্যে তীব্র লড়াই প্রায় ত্রিশ বছর ধরে চলে। এর পর নতুন যোদ্ধা শাসনের সমর্থকরা আধিপত্য লাভ করে। আশিকাগা তাকাউজি ক্ষমতা কেন্দ্রীকরণের জন্য তিনটি মূল নীতি অনুসরণ করেন:
১. হানজেই বা অর্ধেক কর নীতি, যা জমিদার জমি ভাগ করে দেয়;
২. সামুরাই অনুগতদের (গোকেনিন) সঙ্গে অনুগত্য সম্পর্ক;
৩. শুগো প্রভুদের বাকুফু গভর্নর ও প্রাদেশিক সামন্ত হিসেবে ব্যবহার (এটি পরে বিস্তারিতভাবে আলোচিত)।
এই দুই কাঠামো—সামুরাই অনুগত্য ও শুগো নিয়ন্ত্রণ ১৩৫০-এর দশকে শাসন প্রতিষ্ঠার পর গড়ে ওঠে এবং শোগুনের ক্ষমতা নির্ধারণে মুখ্য ভূমিকা রাখে। প্রশাসনিক কাঠামোগুলো বোঝা কঠিন, কারণ কানো বিশৃঙ্খলার পর প্রাথমিক প্রশাসনে ব্যাপক পরিবর্তন আসে। এগুলোর অধিকাংশই কিয়োতো ও ইয়ামাশিরো প্রদেশেই সীমাবদ্ধ ছিল।
=== কামাকুরা থেকে মুরোমাচি পর্যন্ত জমিদারি (শোয়েন) ব্যবস্থার বিবর্তন ===
হানজেই অর্ধ কর নীতিটি সরাসরি ও তীব্র: এটি এস্টেট জমিতে সামুরাই আক্রমণের বৈধতা স্বীকৃতি দেওয়ার একটি কঠোর নীতি ছিল। কিন্তু একই সঙ্গে এস্টেট বা জমিদারি ব্যবস্থার অস্তিত্ব রক্ষা করার নিশ্চয়তা দিয়েছিল।
এস্টেট সিস্টেম কীভাবে পরিবর্তিত হয়েছিল তা পরীক্ষা করার জন্য আমাদের প্রথমে কামাকুরা আমলের দিকে তাকাতে হবে। সামুরাই স্টুয়ার্ড (জিতো) এবং কামাকুরা শাসনের (১১৮৫-১৩৩৩ খ্রিষ্টাব্দ) মধ্যে করদ সম্পর্ক মধ্যস্থতাকারী ছিল। কারণ তারা সামুরাই স্টুয়ার্ডকে (জিতো) এমন একটি অবস্থানে রেখেছিল যেখানে তিনি একই সাথে কামাকুরা এবং কিয়োটো উভয়ের কাছেই জবাবদিহি করেছিলেন। সামুরাই হিসাবে নির্বাচিত হয়ে তাকে একটি কল্পিত আত্মীয়তার বন্ধনে তার বাড়ির সদস্য হিসাবে শোগুনের সাথে সরাসরি করদ সম্পর্কের মধ্যে রাখা হয়েছিল। স্টুয়ার্ড হিসাবে সামুরাই একজন শোগুনাল হাউসম্যান (গোকেনিন) এবং বিশ্বস্ত করদ রাজা হয়েছিলেন। তিনি এমন একটি এস্টেটের পরিচালনার ভার পেয়েছিলেন, যা আইনত কিয়োটোতে একজন আভিজাত্যের মালিকানাধীন ছিল (ভার্লি ১৯৬৭: ২২-৫)। এখানেই কামাকুরা করদ সম্পর্কের মধ্যস্থতাকারী প্রকৃতি রয়েছে। কামাকুরায় যোদ্ধা শাসনের সামন্ত হিসাবে তিনি সামরিক পরিষেবা এবং বকেয়া আকারে শোগুনের কাছে জবাবদিহি করেছিলেন। তবে একজন অভিজাতের মালিকানাধীন এস্টেটের পরিচালক হিসাবে তাকে পরবর্তীকালে খাজনা দিতে হয়েছিল। আমরা প্রথমে কামাকুরা করদ রাজ্য হিসাবে সামুরাই স্টুয়ার্ডের প্রকৃতি পরীক্ষা করব এবং তারপরে আশিকাগা তাকাউজির অধীনে উদ্ভূত করদ বন্ধনগুলো পরীক্ষা করব।
কামাকুরা শাসন ব্যবস্থার স্থায়িত্ব শাসকদের প্রভাবশালী যোদ্ধাদের পরিচালনার অধিকার (জিতো শিকি) এবং অভিজাত মালিকের খাজনা ও জমির মালিকানার অধিকারের গ্যারান্টির উপর নির্ভর করেছিল। সামুরাই স্টুয়ার্ডদের সাথে করদ সম্পর্কের মাধ্যমে, নতুন যোদ্ধা শাসনকে পুরানো এস্টেট সিস্টেমে গ্রাফ্ট করা হয়েছিল এবং প্রক্রিয়াটিতে আপস্টার্ট যোদ্ধা এবং অভিজাতদের মধ্যে সুপ্ত থাকা দ্বন্দ্বমূলক প্রবণতাগুলো সেতু করেছিল।
সামুরাই স্টুয়ার্ডস যাদের শোগুন বা হোজো রিজেন্টদের সাথে সরাসরি করদ সম্পর্ক ছিল তারা গৃহকর্মী (গোকেনিন) নামেও পরিচিত ছিল। কামাকুরা গৃহবধূর ঐতিহ্য একটি মর্যাদাপূর্ণ ঐতিহ্য ছিল এবং মুরোমাচি যুগে যা ঘটেছিল তার নজির স্থাপন করেছিল। ইয়োরিতোমো এবং হোজো রিজেন্টরা কেবল তাদের নিজস্ব গৃহকর্মীদের নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে উদ্বিগ্ন ছিল, সচেতনভাবে তাদের নিজস্ব করদ রাজ্যগুলোর জমি বিরোধের মামলা শোনার মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল এবং তাদের অনুসারীদের স্টুয়ার্ডশিপ অধিকারকে পুরস্কৃত করেছিল, অন্যান্য গোষ্ঠীর অন্যান্য বিরোধগুলো নাগরিক প্রশাসন দ্বারা যত্ন নেওয়া যেতে দেয়। এই নজিরটি আশিকাগা শোগুনরা অনুসরণ করেছিল কারণ তারা মুরোমাচি আমলে শুগো প্রভুদের আক্রমণের বিরুদ্ধে তাদের দেশের করদ রাজ্যগুলোর স্বার্থ রক্ষার চেষ্টা করেছিল।
শুগোকে কেবল প্রদেশগুলোর প্রভু হিসাবে আরও ক্ষমতা দেওয়া হয়নি। তাকাউজি এস্টেট জমি বিভক্ত করার জন্য যে অর্ধ কর নীতি (হানজেই) ব্যবহার করেছিলেন তা সামুরাই যোদ্ধাদের মালিকানাধীন জায়গীরের সংখ্যা বহুগুণ বাড়িয়ে তুলেছিল। তবে, তাকাউজি আরও এগিয়ে যেতে পারতেন যদি তিনি তাঁর বিশ্বস্ত জেনারেলদের পরামর্শ অনুসরণ করতেন। কো ভাইয়েরা সম্পত্তি পুরোপুরি সরিয়ে দিতে চেয়েছিলেন। এস্টেট সিস্টেমের পুনর্বিন্যাসে যোদ্ধাদের স্বার্থ প্রাধান্য পেয়েছিল। তবে মহৎ স্বার্থ এখনও সংরক্ষিত ছিল। এস্টেট সিস্টেম সংরক্ষণে সহায়তা করার ক্ষেত্রে, অর্ধেক করের পরিমাপ এমন একটি নীতি ছিল যা এখনও যোদ্ধার অধিকারের সাথে আভিজাত্যের অধিকারকে সংযুক্ত করতে সক্ষম হয়েছিল।
অর্ধ কর নীতি যুদ্ধের সময় সংগৃহীত সামরিক রেশন (হায়রোরিয়োশো) এর জন্য মনোনীত জরুরি কর হিসাবে শুরু হয়েছিল: মিনো, ওমি এবং ওওয়ারি প্রদেশের নির্দিষ্ট মন্দির, মাজার এবং এস্টেট জমি থেকে অর্ধেক আয় মুরোমাচি শাসনের সেনাবাহিনীকে সমর্থন করার জন্য নেওয়া হবে। ক্রমবর্ধমানভাবে, এটি পুনরায় ব্যাখ্যা করা হয়েছিল এবং তাকাউজি দ্বারা করদ রাজ্যগুলোর প্রয়োগের উদ্দেশ্যে অর্ধেক জমির স্থায়ী অধিগ্রহণ হিসাবে পরিবর্তন করা হয়েছিল। এটি ছিল পূর্ববর্তী অনুশীলন থেকে আমূল প্রস্থান। উপরে উল্লিখিত হিসাবে, কামাকুরা আমলে, বেশিরভাগ জমি, বিশেষত হোনশুর কেন্দ্রীয় ও পশ্চিম প্রদেশগুলোতে, অভিজাতদের মালিকানাধীন ছিল। তবে কামাকুরা হাউস করদ রাজ্যগুলোর দ্বারা স্টুয়ার্ডশিপ (জিতো শিকি) হিসাবে পরিচালিত হয়েছিল। এটি এস্টেট প্রতিষ্ঠানে একত্রে অভিজাতদের স্বার্থ এবং যোদ্ধাদের স্বার্থ উভয়কেই একত্রিত করেছিল। অর্ধ কর ব্যবস্থার আবির্ভাবের সাথে সাথে তাকাউজি সম্পত্তির অর্ধেক জমি মহৎ নিয়ন্ত্রণ থেকে সরিয়ে তার যোদ্ধাদের জায়গীরে দিচ্ছিলেন।
=== স্থানীয় সামুরাই (কোকুজিন) এর উত্থান ===
নানবোকু-চো দ্বন্দ্ব শুরু হলে করদ সম্পর্ক আরও গুরুতর হয়ে ওঠে। সামন্তদের আনুগত্য একটি বড় বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তুলনামূলকভাবে শান্তিপূর্ণ কামাকুরা সময়কালে, সামরিক দক্ষতাগুলো প্রিমিয়ামে রাখা হয়নি। তবে গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পরে এই মানদণ্ডটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে (ভর ১৯৮৯: ১১৩-৪,১১৭)। ১৩৩৬ পরবর্তী পরিবেশের করদ সম্পর্কগুলোতে একটি নতুন মধ্যস্থতাকারী বিবেচনা উদ্ভূত হয়েছিল: আনুগত্যের প্রয়োজন এবং প্রভু এবং করদ রাজ্যের মধ্যে একটি শক্ত বন্ধন। প্রতিদ্বন্দ্বীদের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তার ফলস্বরূপ শোগুন এবং তার করদ রাজ্যগুলোর মধ্যে দৃঢ় সম্পর্ক আবির্ভূত হয়েছিল। করদ সম্পর্ক হয় আশিকাগা দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল বা আশিকাগার প্রতি অনুগত উদীয়মান শুগো প্রভুদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত অন্য যোদ্ধা শ্রেণিবিন্যাসের কাছে সম্ভাব্য যোদ্ধা হারানোর ঝুঁকি ছিল এবং সবচেয়ে খারাপ প্রতিদ্বন্দ্বী সাম্রাজ্যবাদী জেনারেলদের দ্বারা। সুতরাং, সত্যিকার অর্থে, গৃহযুদ্ধের সময়কালে যোদ্ধা নিয়োগের মাধ্যমে সম্ভাব্য দ্বন্দ্ব দূর করতে করদ বন্ধন ব্যবহার করা হয়েছিল।
একই সময়ে সামুরাই এবং শোগুনের মধ্যে করদ বন্ধন শক্ত হয়েছিল, এই সম্পর্কগুলোর বৈধতা কঠোরভাবে পরীক্ষা করা হয়েছিল। এই আপাত বৈপরীত্যটি যৌক্তিকভাবে সামুরাই আনুগত্যের অনেক দাবির অস্তিত্ব দ্বারা ব্যাখ্যা করা হয়েছে যা উপস্থাপিত হয়েছিল: প্রতিদ্বন্দ্বী সাম্রাজ্যবাদী জেনারেল, শুগো প্রভু এবং এমনকি স্থানীয় সামুরাই জোটের প্রতি।
কয়েকটি উদাহরণ শোগুন আশিকাগা তাকাউজি এবং তার নতুন গৃহকর্মীদের মধ্যে করদ সম্পর্কের উত্থানকে চিত্রিত করবে। ১৩৩৬ সালে তাকাউজি কিউশুতে পশ্চাদপসরণ করার পরে আকি প্রদেশে আশিকাগা স্বার্থ রক্ষার দায়িত্ব পেলে কোবায়াকাওয়া পরিবার অনুগত করদ রাজ্য হয়ে ওঠে (আর্নেসেন ১৯৮৫: ১০৮)। আরেকটি আকি সামুরাই পরিবার মোরি বংশ, ১৩৩৬ সালে তাকাউজির করদ রাজ্য হয়ে ওঠে এবং কানো ঘটনার প্রাদুর্ভাব না হওয়া পর্যন্ত কো মোরোয়াসুর অধীনে দায়িত্ব পালন করে। ১৩৫০ এর দশকে মোরি তাকাউজি তাদায়োশি এবং তার দত্তক পুত্র তাদাফুয়ুর শত্রুদের পক্ষে ছিল এবং ১৩৬০ এর দশক পর্যন্ত তারা আবার শোগুনের করদ রাজ্য হিসাবে ফিরে আসেনি (আর্নেসেন ১৯৮৫: ১১৪-৫)। কাওয়াশিমা বংশ এবং কিয়োটোর নিকটবর্তী অন্যান্য যোদ্ধা পরিবারগুলোর সাথে করদ সম্পর্ক ১৩৩৬ সালের গ্রীষ্মে তাকাউজি রাজধানী পুনরায় দখলের অভিযানে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তাকাউজির স্বাক্ষর বহনকারী করদের শর্তাদি সম্পর্কিত একটি নথির কারণে কাওয়াশিমা মামলাটি যথেষ্ট আগ্রহের বিষয়: তারা কাওয়াশিমা এস্টেটের অর্ধেকেরও বেশি স্টুয়ার্ডশিপ অধিকারের (জিতো শিকি) জন্য সামরিক পরিষেবা বিনিময় করবে, বাকি অর্ধেকটি ভাড়া আকারে অভিজাত মালিকের দখলে রেখে দেবে।
=== কানো ঘটনা এবং ১৩৫০ এর দশকে দক্ষিণ দরবারের পুনরুত্থান ===
=== ঘটনাবলী ===
তাকাউজি নামমাত্র শোগুন ছিলেন। তবে দশ বছরেরও বেশি সময় ধরে তাদায়োশি তার জায়গায় শাসন করেছিলেন। দুই ভাইয়ের মধ্যে সম্পর্ক অবশ্য কানো ঘটনা নামে একটি অত্যন্ত গুরুতর পর্বের দ্বারা ধ্বংস হওয়ার নিয়তি ছিল, এটি এমন একটি ঘটনা যা কান্নো যুগ (১৩৫০-১৩৫১) থেকে নামকরণ করা হয়েছে, যার সময় এটি ঘটেছিল এবং যার পুরো দেশের জন্য খুব গুরুতর পরিণতি হয়েছিল। দুজনের মধ্যে ঝামেলা শুরু হয়েছিল যখন তাকাউজি কো নো মোরোনাওকে তার শিটসুজি বা ডেপুটি বানিয়েছিলেন। তাদায়োশি মোরোনাওকে পছন্দ করতেন না এবং তাকে পরিত্রাণ দেওয়ার অন্য প্রতিটি প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়ে তাকে হত্যা করার চেষ্টা করেছিলেন। তার ষড়যন্ত্র আবিষ্কৃত হয়, তাই ১৩৪৯ সালে তাদায়োশি মোরোনাও সরকার ত্যাগ করতে, মাথা ন্যাড়া করতে এবং কেইশিন নামে বৌদ্ধ সন্ন্যাসী হতে বাধ্য হন। ১৩৫০ সালে তিনি বিদ্রোহ করেছিলেন এবং তার ভাইয়ের শত্রুদের সাথে যোগ দিয়েছিলেন, দক্ষিণ দরবারের সমর্থক, যার সম্রাট গো-মুরাকামি তাকে তার সমস্ত সৈন্যের জেনারেল নিযুক্ত করেছিলেন। ১৩৫১ সালে তিনি তাকাউজিকে পরাজিত করেন, কিয়োটো দখল করেন এবং কামাকুরায় প্রবেশ করেন। একই বছর তিনি মিকেজে (সেৎসু প্রদেশ) কো ভাইদের বন্দী ও মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেন। পরের বছর তার ভাগ্য ঘুরে যায় এবং তিনি সাত্তায়ামায় তাকাউজির কাছে পরাজিত হন। ভাইদের মধ্যে একটি পুনর্মিলন সংক্ষিপ্ত প্রমাণিত হয়েছিল। তাদায়োশি কামাকুরায় পালিয়ে যান, কিন্তু তাকাউজি সেখানে সেনাবাহিনী নিয়ে তাকে তাড়া করেন। ১৩৫২ সালের মার্চ মাসে, আপাতদৃষ্টিতে দ্বিতীয় পুনর্মিলনের অল্প সময়ের মধ্যেই, তাদায়োশি হঠাৎ মারা যান, তাইহেইকি অনুসারে বিষক্রিয়ায়।
=== পটভূমি ===
মুরোমাচি শাসনকে বিভক্ত করে এমন চরম বিভাজনকারী কান্নো ঘটনা একীকরণকে সাময়িকভাবে আটকে রেখেছিল। যেহেতু এই ঘটনাটি আমলাতান্ত্রিক অন্তর্দ্বন্দ্বের ফলস্বরূপ ঘটেছে, তাই প্রথমে আমলাতান্ত্রিক অঙ্গগুলোর দিকে নজর দেওয়া দরকার, তারপরে দ্বন্দ্বটি কোথায় উত্থিত হয়েছিল তা পরীক্ষা করা দরকার।
প্রাথমিক শাসনের আমলাতান্ত্রিক অঙ্গগুলো আশিকাগা ভাইদের পৃথক এখতিয়ারের অধীনে ছিল তাকাউজি এবং তাদায়োশি, একটি দ্বিখণ্ডিত প্রশাসন তৈরি করে। তাকাউজি হাউস করদ রাজ্যগুলোর নেতা ছিলেন এবং এভাবে বোর্ড অফ রিটেইনার্স (সামুরাই ডোকোরো) এবং পুরষ্কার অফিস (ওনশো-কাটা) নিয়ন্ত্রণ করেছিলেন, যখন তাদায়োশি শাসনের বিচারিক কার্যক্রমের উপর তদন্ত বোর্ড নিয়ন্ত্রণকারী আমলাতান্ত্রিক নেতা ছিলেন (সাতো ১৯৭৭: ৪৮; সাতো ১৯৭৭:৪৮)। গ্রসবার্গ ১৯৮১: ২১-২৪)।
রিটেইনার্স বোর্ড হাউস করদ রাজ্যগুলোর প্রতি শৃঙ্খলাবদ্ধ অঙ্গ হিসাবে ব্যবহৃত হয়েছিল: ব্রিগেন্ডেজ এবং অন্যান্য অপরাধের বিচার করা হয়েছিল (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ৮৮,১০৭)। পুরষ্কারের অফিসটি যোগ্য করদ রাজ্যগুলোর দাবি শুনতে এবং বন্দী করার জন্য ব্যবহৃত হয়েছিল। পুরষ্কারের অফিসটি নতুন যোদ্ধাদের তালিকাভুক্ত করতে ব্যবহৃত হয়েছিল যারা শাসনের সম্ভাব্য প্রতিপক্ষ ছিল। প্রধান বিচারিক অঙ্গ, কোডজুটরস বোর্ড, উত্তরাধিকারের সাথে জড়িত সমস্ত জমি বিরোধ মামলা এবং ঝগড়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ৮৮)। সমস্ত বিচারিক কাজগুলো একটি প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর মধ্যে আইনীভাবে দ্বন্দ্ব এবং বিরোধ নিষ্পত্তি করার জন্য ব্যবহৃত হয়। নতুন শাসনের জন্য আমলাদের (বুগিওনিন) পতনের আগে হোজো শাসনের দায়িত্ব পালনকারীদের পদমর্যাদা থেকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ৯০)। তারা মূল্যবান ছিল কারণ তারা পড়তে এবং লিখতে জানত, এমন একটি কাজ যা বেশিরভাগ যোদ্ধাদের নাগালের বাইরে।
১৩৫০ এর দশকে কানো ঘটনা এবং এর পরিণতি প্রাথমিক শাসনকে বিভক্ত এবং প্রায় ধ্বংস করে দিয়েছিল (সানসোম ১৯৬১: ৭৮-৯৫)। আপাতদৃষ্টিতে ঘটনাটি তাকাউজির ভাই আশিকাগা তাদায়োশির বিরুদ্ধে কো ভ্রাতৃদ্বয়, মোরোনাও এবং মোরোয়াসুর বিরুদ্ধে তাকাউজির সমর্থিত একটি উপদলীয় লড়াইয়ের মতো দেখায় (উইন্টারস্টিন ১৯৭৪: ২১৫; আর্নেসেন ১৯৭৯: ৫৩-৫৪)। দ্বন্দ্বটি এস্টেট সিস্টেম সম্পর্কে মতামতের পার্থক্য এবং এই ভিন্ন মতামতের পিছনে তাকাউজি এবং তাদায়োশি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত বিভিন্ন আমলাতন্ত্রের দিকে ইঙ্গিত করা যেতে পারে। সামগ্রিকভাবে তাকাউজি ছিলেন উদ্ভাবক এবং তাদায়োশি রক্ষণশীলতার ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন, অতীতের নীতিগুলো সংরক্ষণ করতে চেয়েছিলেন। করদ রাজ্য ব্যান্ডের সামরিক নেতা হিসাবে তাঁর ক্ষমতায়, তাকাউজি দুটি জিনিস করেছিলেন যা তাদায়োশির সাথে সাংঘর্ষিক ছিল: তিনি যুদ্ধক্ষেত্রের বীরত্বের পুরষ্কার হিসাবে শুগো পোস্টগুলোতে করদ রাজ্যগুলোর নিয়োগ করেছিলেন এবং তিনি শোয়েন এস্টেটগুলো ভাগ করে দিয়েছিলেন যার অর্ধেক তার করদ রাজ্যগুলোর ফিফ বা স্টুয়ার্ডশিপ হিসাবে দিয়েছিলেন। তাদায়োশি কেম্মু ফর্মুলারি খসড়া তৈরির মাধ্যমে এই নীতিগুলোর কঠোরভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন যা যুদ্ধক্ষেত্রের সেবার পুরষ্কার হিসাবে শুগোর নিয়োগের বিরোধিতা করেছিল। তিনি কোডজুটরস বোর্ডের নেতা হিসাবে তাঁর ক্ষমতায় এস্টেট জমিগুলোর যে কোনও ধরণের সরাসরি বিভাজনের বিরোধিতা করেছিলেন (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ২৩-৪)। তাকাউজি এবং তার ভাই তাদায়োশির নীতিগুলোর মধ্যে একটি স্পষ্ট বিভাজন ছিল।
দু'জন রাষ্ট্রপ্রধান থাকার ফলে দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছিল যাদের নীতিগুলো একে অপরের সাথে সাংঘর্ষিক। এই ঘটনার পরের ঘটনাবলী সাক্ষ্য দেয় যে শাসকগোষ্ঠী কতটা সমর্থন হারাতে শুরু করেছিল। আশিকাগা পরিবারের সদস্যদের মধ্যে গভীর বিভাজন বিরোধীদের শক্তিশালী করেছিল। মুরোমাচি শাসনের উভয় স্তম্ভ, তাদায়োশি এবং তাকাউজি, তাদের নিজস্ব এজেন্ডা চাপিয়ে দেওয়ার জন্য দক্ষিণ দরবারে টোকেন জমা দিয়েছিলেন: তাদায়োশি কো ভাইদের ধ্বংস করার ইচ্ছায় এবং তাদায়োশিকে পরাজিত করার আকাঙ্ক্ষায় তাকাউজি। হাস্যকরভাবে, যদিও দক্ষিণ কোর্ট শত্রু ছিল, শাসক সদস্যরা একে অপরকে আক্রমণ করার ন্যায্যতা হিসাবে এটি ব্যবহার করেছিল।
=== প্রভাব ===
এই ঘটনার অন্যতম প্রধান প্রভাব ছিল দক্ষিণ দরবারের যুদ্ধের প্রচেষ্টাকে পুনরুজ্জীবিত করা। অনেকাংশে এই নতুন আক্রমণাত্মক মুরোমাচি শাসনের টার্নকোটদের দ্বারা সম্ভব হয়েছিল। কামাকুরায় তাকাউজির বিরুদ্ধে পরিচালিত ১৩৫২ সালের সাম্রাজ্যবাদী আক্রমণ তাদায়োশির প্রাক্তন অনুসারীদের বিপুল সংখ্যক দ্বারা সম্ভব হয়েছিল যারা সাম্রাজ্যবাদী নেতা নিত্তা যোশিমুনের সমর্থক হয়েছিলেন। ১৩৫৩ সালে কিয়োটোর বিরুদ্ধে সাম্রাজ্যবাদী আক্রমণ সম্ভব হয়েছিল শুগো প্রভু ইয়ামানা টোকিউজির দলত্যাগের মাধ্যমে। তাদায়োশির দত্তক পুত্র আশিকাগা তাদাফুয়ু ছিলেন দলত্যাগের অসামান্য উদাহরণ: ১৩৫৩ এবং ১৩৫৪ সালে কিয়োটোর বিরুদ্ধে সাম্রাজ্যবাদী আক্রমণের সময় তিনি দক্ষিণ দরবারের পশ্চিমা সেনাবাহিনীর নেতা হয়েছিলেন।
=== শুগো প্রভুদের উত্থান ===
এই যুগের উত্থান-পতন বুঝতে হলে আমাদের এখন শোগুন-শুগো প্রভু সম্পর্কের উদাহরণের দিকে ফিরে যেতে হবে। নানবোকু-চো যুগের বৈশিষ্ট্যযুক্ত প্রতিযোগিতামূলক আনুগত্য বিভিন্ন স্তরে খেলা হয়েছিল। একবারে আমরা মোরির মতো স্থানীয় সামুরাই পরিবারগুলোর দলত্যাগ দেখতে পাই - ভয়াবহ বিভাজনকারী কানো ঘটনার সময় অস্বাভাবিক নয়। উচ্চতর স্তরে, শুগো প্রভুরা চতুর্দশ শতাব্দীর শেষার্ধ পর্যন্ত বিপজ্জনকভাবে স্বাধীন পদ্ধতিতে কাজ চালিয়ে যান।
আশিকাগা শোগুন তাকাউজি পশ্চিম ও মধ্য জাপানের বিভিন্ন প্রদেশে শাখা পরিবারের সদস্যদের শুগো প্রভু হিসাবে নিয়োগ করেছিলেন। শুগো গভর্নর হিসাবে কাজ করেছিলেন এবং শাসন কেন্দ্র এবং পেরিফেরির মধ্যে মধ্যস্থতার দায়িত্ব পালন করেছিলেন। স্থানীয় গভর্নর এবং তাদের নিজস্ব অধিকারে প্রভু হিসাবে, তারা প্রদেশগুলোতে শাসনের কর্তৃত্বের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন। তারা প্রদেশব্যাপী নিয়োগের কারণে সামুরাই হাউসম্যানের চেয়ে অনেক বেশি কর্তৃত্ব অর্জন করেছিল, একক এস্টেটে সীমাবদ্ধ ছিল না। এখানে আমরা মুরোমাচি যুগের প্রথম দিকে আশিকাগা শোগুনের সাথে তাদের সম্পর্কের দিকে নজর দেব।
শুগো নিয়োগের সাফল্য আত্মীয়তার বন্ধনের দিকে নয়, বরং অন্যান্য কারণের মাধ্যমে তারা শাসনের সাথে কতটা ভালভাবে আবদ্ধ ছিল তার উপর নির্ভর করে। কামাকুরা আমল থেকে যোদ্ধা পরিবারগুলো মস্তকপদ অধিকার (সোরিও) ব্যবহার করে চিহ্নিত করা হয়েছিল,খানে শাখা পরিবারগুলোর উপর নেতৃত্ব দেওয়া হয়েছিল মূল পরিবারের নেত্রী. যাইহোক, মস্তকপদ অধিকারগুলো অত্যন্ত অস্থির ছিল কারণ শাখা পরিবারগুলো প্রায়শই তাদের নিজস্ব স্বাধীনতা দাবি করেছিল, বিশেষত নতুন প্রজন্ম আত্মীয়তার বন্ধনকে হ্রাস করার জন্য আবির্ভূত হয়েছিল (মাস ১৯৮৯: ১১৯)।
সেদিনের প্রয়োজনীয়তাগুলো শুগো পদে নিযুক্ত ব্যক্তিদের দ্বারা সামরিক দক্ষতার সফল ব্যবহারের আহ্বান জানিয়েছিল। আশিকাগা শোগুন এবং স্থানীয় সামুরাইয়ের মধ্যে করদ সম্পর্কের মতো, শোগুন এবং শুগো প্রভুদের মধ্যে বন্ধন একই অর্থে মধ্যস্থতাকারী ছিল: প্রতিযোগিতামূলক আনুগত্যের জগতে, আশিকাগা শোগুনরা শুগো পোস্টগুলোতে যোদ্ধাদের নিয়োগ দিয়ে এই পুরুষদের নিজের আরও কাছাকাছি বেঁধে রাখার চেষ্টা করেছিল। সফল জেনারেলরা, যারা একই সাথে শাখা পরিবারের প্রধান ছিলেন যারা তাকাউজির বিদ্রোহের সাথে তাদের ভাগ্যে নিক্ষেপ করেছিলেন, তারাই প্রায়শই এই পদে পুরস্কৃত হন (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ২৩)। তাদের শাসকগোষ্ঠীর সাথে বেঁধে না রাখার মূল্য ছিল তাদের সমর্থন হারানো, এবং শাসন থেকে তাদের স্বাধীনতাকে উত্সাহিত করা।
শুগো পদে নিযুক্ত আশিকাগা শাখা পরিবারগুলোর মধ্যে হোসোকাওয়া, ইয়ামানা, ইমাগাওয়া, হাতাকেয়ামা, নিকি, কিরা, শিবা, ইশিদো এবং ইশিকি পরিবার অন্তর্ভুক্ত ছিল (পাপিনোট ১৯৭২: ২৭)। নির্দিষ্ট প্রদেশগুলোতে, আশিকাগা মূল শুগো পরিবারগুলোকে স্থানচ্যুত করতে ব্যর্থ হয়েছিল: কেন্দ্রীয় প্রদেশগুলোতে সাসাকি, তোগাশি, তাকেদা এবং ওগাসাওয়ারা এবং কিউশুতে শিমাজু, ওটোমো এবং শোনি (আর্নেসেন ১৯৭৯: ৬০)। মধ্য ও পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশগুলোতে প্রায় অর্ধেক নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত। সময় কান্নো ঘটনা, নতুন নিয়োগপ্রাপ্তদের সাথে আশিকাগা হেডশিপ (সোরিও) সম্পর্ক এই শুগোকে শাসনের প্রতি সরাসরি বিদ্রোহ থেকে মোটেও আটকাতে পারেনি। প্রকৃতপক্ষে, শুগো প্রভুদের তুলনায় এই সময়কালে শাসনের জবরদস্তিমূলক প্রতিষ্ঠানগুলোর শোচনীয়ভাবে অভাব ছিল।
শুগো প্রভুরা যা খুশি তা করতে বাধা দিয়েছিল তা হলো নিয়োগের ক্ষীণ যোগসূত্র, বিশেষত নতুন নিয়োগপ্রাপ্তরা যারা তাকাউজির সাথে আবির্ভূত হয়েছিল - শাসনের সাথে তাদের সংযোগ বজায় রাখার জন্য তাদের একটি স্বার্থান্বেষী স্বার্থ ছিল, যতক্ষণ না তারা এখনও প্রদেশগুলোতে তাদের ক্ষমতা তৈরি করতে পারেনি। যে প্রাদেশিক পরিবারগুলো কামাকুরা আমলে ক্ষমতা অর্জন করেছিল, যেমন সুও এবং নাগাতো প্রদেশের ওচি এবং সাতসুমা প্রদেশের শিমাজু, তারা তাদের নিজস্ব অধিকারে প্রভু ছিল এবং এইভাবে, শাসন এবং তাদের শুগো উপাধির উপর কম নির্ভরশীল ছিল।
১৩৭২ এর পর শুগো প্রভুদের মুরোমাচি শাসনের জন্য কর (তানসেন) সংগ্রহের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। এই করগুলো অভিজাত থেকে শুরু করে সামুরাই পর্যন্ত জমির মালিকদের প্রতিটি শ্রেণীর উপর আঘাত করে। মধ্যস্থতাকারী হিসাবে, শুগো প্রতিটি পৃথক জমির মালিকের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় করের পরিমাণ বাড়িয়ে লাভ করেছিল (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ৭৫)। এই তারিখের মধ্যে, তারা গভর্নর হিসাবে অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছিল এবং তাই তাদের একটি নতুন শাসন কেন্দ্রিক কর তদারকির অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।
=== শুগো সিভিল ফাংশন এবং শুগো উইকের ব্যবহার ===
যা ফোকাসে আসে তা হলো শুগো প্রভু দ্বারা সিভিল গভর্নরের অফিসের ধীরে ধীরে কিন্তু অবিচলিত দখল এবং সামন্ততান্ত্রিক বন্ধনকে কার্যকর করার জন্য এই অবস্থানের ব্যবহার। শুগো পূর্ববর্তী গভর্নরদের মতো তার ঐতিহ্যবাহী প্রশাসনিক দক্ষতার মাধ্যমে নয়, বরং নানবোকু-চো যুদ্ধের সময় এস্টেটের জমি দখলকারী সামুরাইয়ের সাথে করদের মধ্যস্থতাকারী সম্পর্কের মাধ্যমে এবং সরকারী জমিতে বসবাসকারী সামুরাইদের সাথে (কোকুগারিও) কার্যকর করতে সক্ষম হয়েছিল। শুগো প্রভুরা উভয়ই গভর্নর ছিলেন, মুরোমাচি শাসন কর্তৃক তাদের দেওয়া কিছু বৈধ দায়িত্ব ছিল এবং সামন্ত প্রভুরা সামন্তদের প্ররোচিত করার চেষ্টা করেছিলেন।
নানবোকু-চো যুদ্ধ অভিজাতদের প্রতি নির্দয় ছিল যাদের জমিগুলো পূর্ববর্তী সামুরাই স্টুয়ার্ডরা সরাসরি নিয়েছিল এবং অবৈধভাবে ব্যক্তিগত হোল্ডিংয়ে (চিগিও) রূপান্তরিত হয়েছিল। এই বৈপ্লবিক বিকাশ পরবর্তীকালে সংঘটিত এস্টেট ব্যবস্থার সম্পূর্ণ তরলকরণের অগ্রদূত ছিল। শুগো প্রভুরাও তাদের উপর সামুরাই চাপিয়ে তাদের নিয়ন্ত্রণাধীন প্রাক্তন এস্টেটগুলো জড়ো করে এই পুরো জমি দখলে অংশ নিয়েছিল (নাগাহারা ১৯৮২: ১২)। হাস্যকরভাবে, যুদ্ধের উচ্চতায় জমিতে সামুরাই দখলদারিত্ব দ্বারা সৃষ্ট এই আইনহীন পরিস্থিতি ক্ষুদ্র সামুরাই থেকে কোকুজিন পর্যন্ত সমস্ত জমিদার স্বার্থের জন্য সুরক্ষা সমস্যা সৃষ্টি করেছিল এবং স্থানীয় সামুরাইদের মধ্যে করদ আকারে শুগো প্রভুদের সাথে মধ্যস্থতাকারী সম্পর্ক অর্জনের জন্য আরও প্রেরণা সরবরাহ করেছিল। শুগোর সাথে নিজেকে বেঁধে রেখে, তারা প্রদেশের এমন এক ব্যক্তির সাথে নিজেকে মিত্রতা করতে সক্ষম হয়েছিল যিনি একরকম স্থানীয় সুরক্ষা সরবরাহ করতে পারেন।
শুগো লর্ড এবং কোকুজিনের মধ্যে করদ সম্পর্ক প্রায়শই এস্টেটগুলোতে শুগো চুক্তি (শুগো-উকে) নামে পরিচিত একটি ত্রিমুখী মধ্যস্থতাকারী টাই হয়: একজন অভিজাত মালিক রাজধানীতে বসবাসকারী মালিককে সরবরাহ করা গ্যারান্টিযুক্ত বছরের শেষের (নেঙ্গু) আয়ের বিনিময়ে শুগোকে তার এস্টেট পরিচালনার দায়িত্ব দিতেন। শুগো প্রভু তখন ম্যানেজার হিসাবে সেই এস্টেটগুলোতে করদ রাজ্য সামুরাই (হিকান) নিযুক্ত করেছিলেন (মিয়াগাওয়া ১৯৭৭: ৯২; মিয়াগাওয়া ১৯৭৭: ৯২)। নাগাহারা ১৯৮২: ১৪)। অনুমিতভাবে, শুগো চুক্তিগুলো শুগো প্রভু, সামুরাই কোকুজিন এবং আভিজাত্যের স্বার্থকে একত্রে বেঁধেছিল। তবে স্বার্থের সমতার ভিত্তিতে ছিল না। তারা সত্যই এস্টেটগুলোতে শুগো দখলের যন্ত্র ছিল। চুক্তির মধ্যস্থতাকারী প্রকৃতি সম্পর্কে কোনও সন্দেহ নেই। কারণ এটি তিনটি গোষ্ঠীর স্বার্থকে সংযুক্ত করেছিল। তবে এটি শুগো প্রভুর পক্ষে সবচেয়ে অনুকূল ছিল যিনি এই যন্ত্রটি স্থানীয় সামুরাই (কোকুজিন) এর সাথে করদের সম্পর্ক প্রসারিত করতে এবং একই সাথে আভিজাত্যের ব্যয়ে তার জমি বেস প্রসারিত করতে ব্যবহার করেছিলেন। শুগো চুক্তি (শুগো-উকে) ১৩৪০ এর দশকে আবির্ভূত হয়েছিল এবং ধীরে ধীরে ব্যাপক হয়ে ওঠে (উইন্টারস্টিন ১৯৭৪: ২১১)। এই চুক্তিটি কীভাবে পরিচালিত হয়েছিল তা দেখে, এটি স্পষ্ট যে এস্টেট সিস্টেম (শোয়েন) যোদ্ধাদের দ্বারা কতটা দখল করা হয়েছিল এবং তার পূর্ববর্তী জীবনের একটি কঙ্কালে পরিণত হয়েছিল। শুগো প্রভুরা সামরিক সেবার বিনিময়ে সামুরাইকে এস্টেটের পরিচালনা দিয়েছিলেন, কিন্তু আভিজাত্যকে এস্টেটের সমস্ত ক্ষমতা ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছিল, তিনি যেখানে থাকতেন সেখানে বছরের শেষের (নেঙ্গু) আয়ের অংশের জন্য অপেক্ষা করতে হ্রাস পেয়েছিলেন। অভিজাত তার নিজের আয়ের অংশের গ্যারান্টি দেওয়ার জন্য কর অধ্যক্ষ (নেঙ্গু দাইকান) নিয়োগ করেছিলেন। তবে তাকে নিয়োগের জন্য অত্যধিক পরিমাণ অর্থ প্রদান করতে হয়েছিল। কোকুজিন এবং শুগো প্রভু দ্বারা ইতিমধ্যে হ্রাস করা অভিজাত আয় আরও হ্রাস পেয়েছিল যখন ট্যাক্স ওভারসিয়ার তার অর্ধেক নিয়েছিল। মহৎ আয়ের এই হ্রাস শুগো এবং সামুরাই উভয়ের পক্ষ থেকে ধীরে ধীরে অর্থ প্রদান না করার ফলাফল ছিল; শেষ ব্যবস্থা হিসাবে, অভিজাতরা যোদ্ধাদের উপর চাপ দেওয়ার উপায় হিসাবে মহাজন (ডিওএসও) এবং আমলাদের (বুগিওনিন) ভাড়া করেছিল। তবে এই প্রতিকারটিও দাগযুক্ত ফলাফল তৈরি করেছিল কারণ ভাড়াটে হাতগুলো যোদ্ধাদের সাথে আলোচনা করতে হয়েছিল (নাগাহারা ১৯৮২: ১৬)।
=== শুগো এবং পাবলিক ল্যান্ডস (কোকুগারিও) ===
সম্প্রতি অবধি একটি বৃহত্তর অনুপস্থিত চিত্র হলো মুরোমাচি আমলে সরকারী জমিগুলোর ভাগ্য (কোকুগারিও) এবং তাদের উপর তাদের দখলদারিত্বে শুগো প্রভুদের ভূমিকা। হেইয়ান আমলে সরকারী জমি (কোকুগারিও) এস্টেটগুলোর ব্যক্তিগত জমি (শোয়েন) থেকে পৃথক ছিল। কারণ পরবর্তীকালে রাষ্ট্রীয় কর থেকে মুক্ত ছিল। বেসরকারী এস্টেটের উত্থানের আগে, একমাত্র ধরণের জমি ছিল পুরানো নাগরিক প্রশাসনের অধীনে রক্ষণাবেক্ষণ করা সরকারী জমি। হেইয়ান আমলে শোয়েন নামে পরিচিত বেসরকারী এস্টেটগুলোর উত্থানের সাথে সাথে সরকারী জমিগুলো কোনওভাবেই অদৃশ্য হয়ে যায়নি: বিশদভাবে, সরকারী জমিগুলো ব্যক্তিগত এস্টেট থেকে খুব কম আলাদা ছিল। দুটিরই মালিক ছিলেন অনুপস্থিত মালিকরা। তারা কেবল প্রশাসনের দিক থেকে পৃথক ছিল: বেসরকারী এস্টেটগুলো সরাসরি অভিজাত কর্মকর্তাদের দ্বারা পরিচালিত হত, অন্যদিকে, সরকারী জমিগুলো প্রাক্তনদের পক্ষে সিভিল গভর্নরদের (কোকুগা বা কোকুশি) দ্বারা পরিচালিত হত (আর্নেসেন ১৯৭৯: ৯৪)। কামাকুরা আমলে, সরকারী জমিগুলো বিভিন্ন জমির মালিকদের ব্যক্তিগত হোল্ডিং (চিগিও) হিসাবে মালিকানাধীন ছিল। এই জমির মালিকদের মধ্যে অভিজাত বাড়ি, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান এবং যোদ্ধা অন্তর্ভুক্ত ছিল। কান্তো এবং উত্তর-পূর্বের পুরো অঞ্চল যোদ্ধাদের দখলে ছিল এস্টেট ম্যানেজার হিসাবে নয়, ব্যক্তিগত হোল্ডিং হিসাবে (নাগাহারা ১৯৮২: ১৫): কান্টো প্রদেশগুলো কামাকুরা শাসনকে ব্যক্তিগত জমি (চিগিওকোকু) হিসাবে দেওয়া হয়েছিল। আশিকাগা শাসন এই জমিগুলো উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছিল এবং ভাগ্যক্রমে তাদের উপরে শুগো প্রভুদের রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল (আর্নেসেন ১৯৭৯: ৯৪)।
সিভিল গভর্নর অফিসের (কোকুশি) অন্যতম প্রধান কাজ ছিল প্রদেশগুলোতে ফৌজদারি বিচারের তদারকি এবং সরকারী জমির মধ্যে ব্যক্তিগত হোল্ডিংগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ (কোকুগারিও)। তবে কামাকুরা শাসনের আবির্ভাবের সাথে তার কার্যকারিতা পরিবর্তন হতে শুরু করে (হল ১৯৬৬: ২০২-০৩)। কামাকুরা কর্তৃক শুগো কনস্টেবল নিয়োগের সাথে সাথে প্রদেশগুলোর মধ্যে সমস্ত ফৌজদারি এখতিয়ার তার হাতে চলে যায়। তবে সিভিল গভর্নর (কোকুশি) সিভিল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (রিটসুরিও) মূল কর্মকর্তা হিসাবে রয়ে গেলেন, যিনি নিশ্চিত করেছিলেন যে ব্যক্তিগত হোল্ডিং থেকে ভাড়া কিয়োটো এবং ইয়ামাশিরো প্রদেশের অনুপস্থিত অভিজাত এবং ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে (জিশা হোনজো) পৌঁছেছে। তাঁর তত্ত্বাবধানে যোদ্ধাদের ব্যক্তিগত হোল্ডিংগুলো অন্তর্ভুক্ত ছিল না, সাধারণত কানটো এবং আরও উত্তরে কেন্দ্রীভূত ছিল।
নানবোকু-চো যুদ্ধের প্রাদুর্ভাবের সাথে সাথে নাগরিক প্রশাসন (ঋতসুরিও) দ্রুত ভেঙে পড়তে শুরু করে এবং শুগো প্রভুরা, যাদের কামাকুরা আমলে প্রাদেশিক শাসনে সামান্য ভূমিকা ছিল, তারা সিভিল গভর্নরের দায়িত্ব দখল করতে আবির্ভূত হয়েছিল। এটি প্রতিটি প্রদেশে তাত্ক্ষণিকভাবে ঘটেনি। তবে শুগো প্রভুরা সরকারী জমিতে সত্যিকারের গভর্নর না হওয়া পর্যন্ত কোনও বাধা ছাড়াই ঘটেছিল (কোকুগারিও)। তারা সরকারী জমির মধ্যে ব্যক্তিগত হোল্ডিংয়ের তদারকি করার সাথে সাথে তারা বিভিন্ন ধরণের জমির মালিকদের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করেছিল: অভিজাত, বিভিন্ন ধরণের সামুরাই (কোকুজিন, জিজামুরাই) এবং ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের সাথে। তারা এই জমিগুলোতে তাদের নিজস্ব অনুসারীদের চাপিয়ে দিয়েছিল এবং সামরিক সেবার বিনিময়ে বিদ্যমান সামুরাইয়ের জমিগুলো পুনরায় নিশ্চিত করেছিল এবং অনুমানযোগ্য ফলাফলের সাথে অভিজাতদের সাথে শুগো চুক্তি প্রতিষ্ঠা করেছিল (নাগাহারা ১৯৮২: ১৫)। এস্টেটগুলোতে স্থানীয় সামুরাই (কোকুজিন) এর সাথে করদ সম্পর্কের পাশাপাশি, সরকারী জমিতে করদ বন্ধন একটি মূল সংস্থান হয়ে ওঠে যা শুগো প্রভুদের শক্তি বাড়িয়ে তোলে।
তদুপরি, ১৩৪৬ সালে মুরোমাচি শাসনের উত্থানের দশ বছর পর শোগুন শুগোকে এস্টেটগুলোতে ফসল চুরির মামলাগুলো বিচার করার এবং সাম্রাজ্যবাদী বাহিনীর কাছ থেকে নেওয়া যোগ্য করদ রাজ্যগুলোর জমির অস্থায়ী নিয়োগ দেওয়ার অধিকার দিয়ে কর্তৃত্বকে বিকেন্দ্রীকরণ করেছিল (আর্নেসেন ১৯৭৯: ৬৫)। এটি তাৎপর্যপূর্ণ ছিল, যতক্ষণ না কামাকুরা এখতিয়ারের ঐতিহ্যবাহী অঞ্চলগুলো মুরোমাচি শাসন দ্বারা "ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল"। পূর্বে, ফসল চুরি বা জমি বরাদ্দের সমস্ত মামলা কঠোরভাবে কামাকুরা প্রশাসনের অধীনে ছিল। এছাড়াও, প্রায় এই সময়ে, সাম্রাজ্যবাদী শক্তি তাদের সবচেয়ে খারাপ পরাজয়ের সম্মুখীন হচ্ছিল, শত্রুদের জমি বাজেয়াপ্ত ও পুনর্নির্ধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দিচ্ছিল। শুগো প্রভুদের এই নতুন এখতিয়ার দেওয়ার মাধ্যমে এটি তাদের নির্ধারিত প্রদেশগুলোর গভর্নর হিসাবে তাদের অবস্থানকে আরও বাড়িয়ে তোলে।
=== বৈধতা এবং ক্ষমতার সীমাবদ্ধতা ===
এই দ্বৈত ক্ষমতায় শুগো প্রভুদের গভর্নর হিসাবে পরিচালিত জমির জন্য প্রদেশগুলোতে অন্যান্য জমি সামুরাইয়ের সাথে প্রতিযোগিতা করতে হয়েছিল। তবে ব্যক্তিগতভাবে মালিকানাধীন ছিল না। অভিজাত মালিকদের মতো, একক শুগো প্রভু বেশ কয়েকটি প্রদেশের বিস্তৃত অঞ্চলে জমির মালিক ছিলেন। তাঁর ক্ষমতা ষোড়শ শতাব্দীর আঞ্চলিক প্রভুদের (দাইমিও) মতো জমির ব্যক্তিগত মালিকানার উপর নির্মিত হয়নি। তবে করদের বন্ধনের মাধ্যমে স্থানীয় সামুরাইয়ের আনুগত্যের উপর নির্মিত হয়েছিল (মিয়াগাওয়া ১৯৭৭: ৯১-৯৩)। ষোড়শ শতাব্দীর আঞ্চলিক প্রভুদের দ্বারা অনেক বেশি জবরদস্তিমূলক সম্ভাবনা প্রয়োগ করা হয়েছিল। কারণ তাদের আশেপাশের জমিগুলোর মালিকানার উপর ভিত্তি করে তাদের করদের বন্ধন ছিল: মালিক হিসাবে তারা উপযুক্ত হিসাবে জমিটি ছেড়ে দিতে পারে, খুব বেশি ঝামেলা ছাড়াই অবাধ্য করদ রাজ্যগুলোর থেকে মুক্তি পেতে পারে। চতুর্দশ শতাব্দীতে, শুগো প্রভুরা অঞ্চলটির প্রদেশব্যাপী মালিকানা দাবি করতে পারেনি: প্রথমত, ব্যক্তিগত প্রাদেশিক মালিকানার ধারণাটি এখনও অনুন্নত ছিল; দ্বিতীয়ত, তারা কখনই প্রচুর পরিমাণে ব্যক্তিগত সম্পত্তি সংগ্রহ করেনি, বরং তাদের সামন্তদের দখল করার জন্য এস্টেট জমি এবং সরকারী জমির ঐতিহ্যবাহী কাঠামো ব্যবহারের উপর নির্ভর করেছিল। এটি চতুর্দশ শতাব্দীর কেন্দ্রীয় রহস্য: এস্টেট সিস্টেমের বিভাজন এবং বিলুপ্তি এবং নাগরিক প্রশাসনের অন্তর্ধান ব্যক্তিগত জমির বিস্তারের সাথে মিলে যায়। তবে এস্টেট সিস্টেমের বাহ্যিক কাঠামো (শোয়েন) এবং পাবলিক ল্যান্ডস সিস্টেম (কোকুগারিও), যদিও বিষয়বস্তু বিহীন, তবুও রয়ে গেছে (কিয়ারস্টেড ১৯৮৫: ৩১১-১৪)। বিভাজনের পরিপ্রেক্ষিতে, এটি ছিল শুগো করদের মধ্যস্থতাকারী সম্পর্ক এবং প্রাদেশিক গভর্নর হিসাবে শুগোর ভূমিকা। এটি কিছুটা হলেও ভিন্ন শক্তিকে সংহত করতে সহায়তা করেছিল।
যোদ্ধাদের হাতে যে অবক্ষয়ের শিকার হয়েছিল তার পরিপ্রেক্ষিতে এস্টেট ব্যবস্থা কীভাবে আদৌ বেঁচে ছিল তা আশ্চর্যের বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। উপরে বর্ণিত ক্ষয়িষ্ণু আকারে টিকে থাকার দুটি কারণ ছিল: এক, মুরোমাচি শাসনের অস্তিত্ব ছিল যা যোদ্ধা আক্রমণের মুখে ধারাবাহিকভাবে এস্টেট ব্যবস্থাকে সমর্থন করেছিল (নাগাহারা ১৯৮২: ১৬)। দ্বিতীয় বিভাগে বর্ণিত হিসাবে, আশিকাগা তাকাউজি নিশ্চিত করার চেষ্টা করেছিলেন যে অর্ধেক করের পরিমাপ দ্বারা যোদ্ধাদের উপর নির্ধারিত সীমা অতিক্রম করা হয়নি। তবে তিনি শুগো চুক্তির মতো ব্যবস্থাগুলো এড়াতে ব্যর্থ হয়েছিলেন যা সত্যই তার সম্পত্তি এবং এর আয়ের আভিজাত্যকে অস্বীকার করেছিল। অর্ধ করের পরিমাপ নিজেই সামুরাইয়ের হাতে সম্পত্তির সরাসরি দখল থেকে আভিজাত্যকে রক্ষা করেনি, এমনকি যদি পরবর্তীকালে অর্ধ কর আইন পূরণের জন্য একটি অংশ হস্তান্তর করার প্রয়োজন হয়। শেষ পর্যন্ত, মুরোমাচি প্রশাসনই নিশ্চিত করেছিল যে সামুরাইরা তাদের আয়ের অংশ অভিজাতদের প্রদান করে।
এস্টেট ব্যবস্থার টিকে থাকার পেছনে অন্য কারণটি অভিজাত শ্রেণীর বৈধতার সাথে সংযুক্ত ছিল। এস্টেটে বসবাসকারী কৃষকদের মধ্যে যোদ্ধাদের উত্থান জনপ্রিয় ছিল না। অভিজাতদের আরও কোমল হাত ছিল সেই হাতটিও লোকেরা শ্রদ্ধা করতে এসেছিল। জনগণের মধ্যে সরাসরি অবাধ্যতা ও বিদ্রোহ রোধ করা শুগো প্রভু এবং কোকুজিন উভয়ই এস্টেট কাঠামোর বাহ্যিক রূপকে সম্মান জানাতে আসার একটি কারণ ছিল। কৃষকদের চোখে তাদের শাসনকে বৈধ করার জন্য, যোদ্ধারা এস্টেট কাঠামোর কাঠামোর মধ্যে কাজ করেছিল, যদিও এই কাঠামোটি পুরোপুরি পরিবর্তিত হয়েছিল (নাগাহারা ১৯৮২: ১৬-৭)। একটি মামলা তৈরি করা যেতে পারে যে ইয়ামাশিরো প্রদেশের বাইরে এস্টেট ব্যবস্থা এমন পরিমাণে ক্ষয়প্রাপ্ত হয়েছিল, প্রদেশগুলোতে অভিজাতদের কোনও প্রভাব অবশিষ্ট ছিল না।
== আশিকাগা শক্তি একীকরণ: ১৩৬০-১৩৭০ ==
১৩৫৮ সালে তাকাউজির মৃত্যুর পর শোগুনতন্ত্র তার পুত্রের হাতে চলে যায় যোশিয়াকিরা। তাঁর নেতৃত্বে, এবং কানরেই হোসোকাওয়া ইয়োরিয়ুকির নেতৃত্বে, শাসনব্যবস্থা ১৩৬০ এবং ৭০ এর দশকে শুগো প্রভুদের সংহত করতে সফল হয়েছিল: আশিকাগার শুগো শাখা পরিবারগুলো সরকারী আমলাতন্ত্রের মধ্যে নিযুক্ত ছিল। আমি নিম্নলিখিত পয়েন্টগুলো কভার করব: ১) কানরেই কাউন্সিল সিস্টেমের উত্থান, এবং মধ্যস্থতাকারী যন্ত্র হিসাবে বোর্ড অফ রিটেইনার্স যা শুগো প্রভুদের শাসনের সাথে আরও দৃঢ়ভাবে আবদ্ধ করেছিল; ২) শোগুনাল আধিপত্যের আকারে একটি জবরদস্তিমূলক যন্ত্রের উত্থান যা ভ্রান্ত শুগো প্রভুদের শৃঙ্খলাবদ্ধ করতে ব্যবহৃত হয়েছিল এবং দক্ষিণ দরবারের বাহিনীর চূড়ান্ত পরাজয়; ৩) দরবারের র্যাংকিং সিস্টেমের ব্যবহার একটি মধ্যস্থতাকারী যন্ত্র হিসাবে যা শাসনকে রাজকীয় দরবারের সাথে আবদ্ধ করেছিল এবং এর সাথে সম্পর্কিত ১৩৬৮ সালের হানজেই অর্ধ-কর ডিক্রি এবং এর প্রভাব। ৪) কিউশু ও কানটো অঞ্চলে মুরোমাচি কর্তৃপক্ষের সীমাবদ্ধতা।
শাসনব্যবস্থাকে পুনর্গঠন করে কানো ঘটনার ক্ষত নিরাময়ের জন্য শোগুন যোশিয়াকিরার উপর ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। ১৩৬২ সালে তিনি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেছিলেন যা শুগো প্রভুদের শাসনের সাথে সংযুক্ত করেছিল: কানরেই কাউন্সিল সিস্টেম। এই ব্যবস্থাটি দুটি উপাদান নিয়ে গঠিত হয়েছিল, কানরেই অফিস এবং সিনিয়র করদ রাজ্য কাউন্সিল (জুশিন কাইগি) যার উপর কানরেই সভাপতিত্ব করেছিলেন। কানরেই কাউন্সিল ব্যবস্থায় সবচেয়ে শক্তিশালী শুগো পরিবারকে সরাসরি মধ্য ও পশ্চিম জাপান শাসনে অংশগ্রহণকারী হিসাবে জড়িত করা হয়েছিল। শোগুনের পাশাপাশি, কানরেই কাউন্সিল মুরোমাচি শাসনের হৃদয় গঠনের জন্য এমন পরিমাণে আবির্ভূত হয়েছিল, ইতিহাসবিদরা এই শাসনকে বাকুফু-শুগো সিস্টেম হিসাবে চিহ্নিত করতে এসেছেন (তনুমা ১৯৭৬: ১২; তানুমা ১৯৭৬: ১২)। হ্যারিংটন ১৯৮৫: ৬৭)।
=== কানরেই কাউন্সিল এবং প্রতিষ্ঠানের পুনর্গঠন ===
কানরেই কাউন্সিল ব্যবস্থা মধ্যস্থতাকারী ছিল। কারণ এটি আমলাতান্ত্রিক শাসনের সামরিক দিককে একত্রিত করেছিল। কান্নো ঘটনার সাথে উদ্ভূত দ্বন্দ্বটি তাকাউজি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত সামরিক করদ রাজ্য প্রতিষ্ঠান এবং তাদায়োশি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত আমলাতান্ত্রিক-বিচারিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে বিচ্ছেদ এবং সংঘর্ষের সাথে সম্পর্কিত। কানরেই কাউন্সিল ব্যবস্থার উত্থানের সাথে সাথে প্রশাসনের সামরিক পক্ষের প্রতিনিধিত্বকারী শুগো প্রভুরা নীতি সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় হিসাবে আমলাতন্ত্রের সাথে দৃঢ়ভাবে আবদ্ধ ছিলেন।
কানরেই অফিস নিজেই শোগুনের সাথে শুগো প্রভুদের স্বার্থকে একত্রিত করে মধ্যস্থতার একটি ভাল উদাহরণ। কানরেইয়ের কাজ ছিল সিনিয়র করদ রাজ্য কাউন্সিল (জুশিন কাইগি) এবং শোগুনের মধ্যে মুখপাত্র হিসাবে কাজ করা, দুজনের মধ্যে মধ্যস্থতা করা (কাওয়াই ১৯৭৭: ৭০)। কানরেইয়ের দৈনন্দিন ভিত্তিতে শাসনের আমলাতান্ত্রিক উপাদানগুলো দেখার, পরামর্শ করা এবং কাউন্সিল এবং আমলাতন্ত্রের কাছে শোগুনাল আদেশগুলো প্রেরণ করাও দায়িত্ব ছিল। কান্রেই ধারাবাহিকভাবে চার প্রজন্মের মধ্যে তাকাউজির সাথে সম্পর্কিত তিনটি শুগো পরিবারের বংশগত গোষ্ঠী থেকে নির্বাচিত হয়েছিল (পাপিনোট ১৯৭২: ২৭): হোসোকাওয়া, হাতাকিয়ামা এবং শিবা। তিনটি পরিবার পালাক্রমে পদটি পূরণ করেছিল। তারা শাসকদের সর্বোচ্চ পদমর্যাদার শুগো পরিবার ছিল এবং কানরেইয়ের পদটি এর সমর্থনে তাদের স্বার্থকে বেঁধে রাখতে সহায়তা করেছিল।
কানরেই কাউন্সিল ব্যবস্থার অন্য উপাদানটি ছিল সিনিয়র করদ রাজ্য কাউন্সিল (জুশিন কাইগি)। কানরেই কাউন্সিলের সভাগুলোর সভাপতিত্ব করেছিলেন, কাউন্সিলের সিদ্ধান্তগুলো শোগুনকে রিলে করেছিলেন এবং শোগুন থেকে কাউন্সিলে আদেশ প্রেরণ করেছিলেন। এই ব্যবস্থায়, কাউন্সিল এবং শোগুনের মধ্যে পরামর্শের মাধ্যমে শাসন নীতি প্রণয়ন করা হয়েছিল, যদিও চূড়ান্ত সিদ্ধান্তগুলো পরবর্তীকালে নেওয়া হয়েছিল (কাওয়াই ১৯৭৭: ৭০-৭১; কাওয়াই ১৯৭৭: ৭০-৭১)। সাতো ১৯৭৭: ৪৮)। শুরুতে, কাউন্সিলটি তিনটি শুগো পরিবারের প্রধানদের সমন্বয়ে গঠিত হয়েছিল যাদের কাছ থেকে কানরেই নিয়মিত নির্বাচিত হয়েছিল এবং শক্তিশালী শুগো পরিবারের আরও চারটি প্রধান: ইয়ামানা, ইশিকি, আকামাতসু এবং কিয়োগোকু (ভার্লি ১৯৬৭: ২৭-৯)। শেষোক্ত দুটি পরিবার আশিকাগা পরিবারের সাথে সম্পর্কিত ছিল না। পরবর্তী কয়েক দশক ধরে ওচি, সাসাকি এবং টোকি পরিবারগুলোর নিয়োগের সাথে সম্পর্কহীন শুগো পরিবারগুলোকে কাউন্সিলে অন্তর্ভুক্ত করার এই প্রবণতা অব্যাহত ছিল। এই প্রবণতাটি ইঙ্গিত দেয় যে শক্তিশালী শুগো পরিবারগুলো, আত্মীয়তা নির্বিশেষে, সিনিয়র করদ রাজ্য কাউন্সিলের মধ্যস্থতাকারী প্রকৃতির মাধ্যমে শাসনের সাথে আবদ্ধ ছিল: শুগো প্রভু এবং শোগুনের মধ্যে দ্বন্দ্ব এবং সম্ভাব্য স্বার্থের দ্বন্দ্বকে শুগো প্রভুদের কাউন্সিলের মধ্যে আলোচনায় তাদের মতামত জানাতে দিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়া হয়েছিল। বোর্ড অফ রিটেইনার্স (সামুরাইডোকোরো) চতুর্দশ শতাব্দীতে ইমাগাওয়া (যিনি একটু পরে কাউন্সিলের সদস্য হয়েছিলেন), হোসোকাওয়া, হাতাকেয়ামা, শিবা এবং টোকির মধ্যে থেকে নির্বাচিত একজন সিনিয়র করদ রাজ্য কাউন্সিল সদস্যেরও নেতৃত্বে ছিলেন। কিয়োটোর রাজধানীতে পুলিশ কার্যাবলী এবং ফৌজদারি বিচার সম্পাদনের উপর বোর্ড অফ রিটেইনারদের দায়িত্ব ছিল (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ৮৮,১০৭)। অফিসধারী স্বয়ংক্রিয়ভাবে জাপানের সবচেয়ে ধনী এবং সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ ইয়ামাশিরো প্রদেশের উপর শুগো হয়ে ওঠে এবং শাসনের সদর দফতর এবং কিয়োটো শহর রক্ষার দায়িত্ব ছিল (ভার্লি ১৯৬৭: ৫৭)। পঞ্চদশ শতাব্দীর শুরুতে, চারটি শুগো পরিবারের মধ্যে থেকে অনুচর বোর্ডের প্রধান বেছে নেওয়া হয়েছিল: ইয়ামানা, আকামাতসু, কিয়োগোকু এবং ইশিকি। রিটেইনার্স বোর্ড কানরেই কাউন্সিল সিস্টেম যা করেছিল তা করেছিল: এটি শুগো প্রভুদের স্বার্থকে শাসনের সাথে সংযুক্ত করেছিল এবং এর ফলে তাদের মধ্যে সম্ভাব্য দ্বন্দ্বের মধ্যস্থতা করেছিল। শাসকগোষ্ঠীর সম্ভাব্য সংঘাতের উৎস শুগো প্রভুরা শাসকগোষ্ঠীর একটি প্রতিষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী হয়ে ওঠায় মধ্যস্থতাকারী ছিল।
সিনিয়র করদ রাজ্য কাউন্সিল এবং রিটেইনার্স বোর্ডে শুগোর অংশগ্রহণ পুনর্নির্মিত শাসনব্যবস্থায় তাদের অংশগ্রহণের আরও দুটি বিশিষ্ট উদাহরণ ছিল। এই অংশগ্রহণের গুরুত্বকে অবমূল্যায়ন করা যায় না: এই মধ্যস্থতাকারী যন্ত্রগুলো ব্যবহারের মাধ্যমেই আশিকাগা শোগুনরা তাদের নির্দেশনায় রাষ্ট্রকে কেন্দ্রীভূত করতে সক্ষম হয়েছিল। যেমনটি আমরা বারবার দেখব, মুরোমাচি সমাজের সমস্ত স্তরে নিয়োগের ব্যবস্থা হিসাবে হেডশিপ বন্ধন (সোরিও) আকারে আত্মীয়তা বড় হয়ে উঠেছে: এখানেও, সর্বোচ্চ অবস্থানের শুগো প্রভুরা বেশিরভাগই আশিকাগার শাখা পরিবার ছিল। যাইহোক, এই আত্মীয়তার বন্ধনগুলো আধা-স্বাধীন শুগো প্রভু এবং শাসকদের মধ্যে মধ্যস্থতার পথে খুব কমই কাজ করেছিল। বরং কানরেই কাউন্সিল ব্যবস্থার মাধ্যমে শাসন পরিচালনায় শুগো প্রভুদের কার্যকর অংশগ্রহণ ছিল যা তাদের স্বার্থকে শাসনের সাথে আগের চেয়ে আরও দৃঢ়ভাবে আবদ্ধ করেছিল।
=== আশিকাগা এবং শুগো জোটের উসে ===
১৩৬২ সালে দেশের দুটি সবচেয়ে শক্তিশালী শুগো ঘর, ওউচি এবং ইয়ামানা, এই শর্তে আশিকাগা শাসনের কাছে আত্মসমর্পণ করেছিল যে শোগুন তাদের নিজ নিজ প্রদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবে না (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ২৫)। পরবর্তীকালে, ইয়ামানা, যারা আশিকাগার সাথে সম্পর্কিত ছিল এবং ওউচি, যারা সম্পর্কিত ছিল না, সরকারী বিষয়ে ক্রমবর্ধমান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে শুরু করে। যাইহোক, কয়েক দশকের মধ্যে, উভয় শুগো ঘর শোগুনের ক্রোধের জন্য যথেষ্ট শক্তিশালী হয়ে ওঠে।
১৩৬৬ সালে প্রথম কানরেই অফিসধারীর পিতা, শিবা টাকাতসুনে, যিনি তার তেরো বছর বয়সী ছেলের উপর আসল ক্ষমতা রেখেছিলেন এবং যিনি শিবা পরিবারের সদস্যদের মূল সরকারী অফিসগুলোতে বসানোর ইঞ্জিনিয়ার করেছিলেন, তার ক্রমবর্ধমান শক্তি এবং অহংকারের কারণে বিশ্বাসঘাতক হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছিল (তিনি কানরেই পদ গ্রহণ করে অবমাননা বোধ করেছিলেন, তাই তার পরিবর্তে তিনি তার ছেলেকে নিয়োগ দিয়েছিলেন)। একটি গুরুত্বপূর্ণ শুগো পরিবারের বিরুদ্ধে শক্তির প্রথম প্রদর্শনে, যোশিয়াকিরা ইয়ামানা, সাসাকি, যোশিমি এবং টোকি শুগো প্রভুদের এচিজেন প্রদেশের শিবা আক্রমণ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। শিবা পরাজিত হয়েছিল এবং এচিজেনে তাদের অঞ্চল পুনরায় বিতরণ করা হয়েছিল (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ৯২)। ১৩৬৭ সালে শিবা পরিবারকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর হোসোকাওয়া ইয়োরিয়ুকিকে কানরেই পদের উত্তরসূরি হিসাবে নামকরণ করা হয়েছিল: শোগুন যোশিয়াকিরার মৃত্যুর পর ইয়োরিয়ুকি তরুণ শোগুন যোশিমিতসুর সংখ্যালঘু থাকাকালীন শাসনকে আরও দৃঢ় ভিত্তির উপর স্থাপন করতে সক্ষম হন। ১৩৬৬ সালে তাদের নিজস্ব সহকর্মীদের একজনকে আক্রমণ করার জন্য শুগো প্রভুদের ব্যবহার, শুগো প্রভুদের তুলনায় শোগুনের ক্রমবর্ধমান কর্তৃত্ব এবং বয়সের সাথে বাড়তে থাকা জবরদস্তির একটি কার্যকর যন্ত্রের উত্থানের দিকে ইঙ্গিত করে। এখন পর্যন্ত, আমরা সত্যিকারের শৃঙ্খলাবদ্ধ ব্যবস্থার কার্যত অস্তিত্বহীনতা দেখেছি যা শোগুন তার শুগো প্রভুদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে পারে। শোগুন এবং শুগো প্রভুদের মধ্যে উদ্ভূত নতুন মধ্যস্থতাকারী যন্ত্রগুলোর সাথে একত্রে, শোগুন-শুগো জোটের মাধ্যমে এক শুগো প্রভুকে অন্যের বিরুদ্ধে দাঁড় করানোর নতুন জবরদস্তিমূলক যন্ত্রটি শোগুনের হাতকে শক্তিশালী করেছিল।
১৩৬২ সালে কিয়োটোর বিরুদ্ধে সর্বশেষ দক্ষিণ দরবারের আক্রমণ আশিকাগাকে রাজধানী থেকে সরে আসতে বাধ্য করেছিল। তবে পূর্ববর্তী অনেক প্রচেষ্টার মতো, সাম্রাজ্যবাদীদের শেষ পর্যন্ত কিছু অর্জন না করেই একটি বড় পাল্টা আক্রমণের মুখে পিছু হটতে হয়েছিল (সানসোম ১৯৬১: ১০৮)। ১৩৫০-এর দশকে সাম্রাজ্যবাদী সেনাবাহিনীর মধ্যে যে উচ্ছ্বাস ছিল তা ম্লান হয়ে গেছে। এই তারিখের পরে প্রতিরোধ বিক্ষিপ্ত এবং সম্পূর্ণ প্রতিরক্ষামূলক হয়ে ওঠে। অবশেষে ১৩৬৯ সালে সম্রাট গো-মুরাকামির মৃত্যুর এক বছর পর কট্টর সাম্রাজ্যবাদী জেনারেল কুসুনোকি মাসানোরি শাসকগোষ্ঠীর কাছে আত্মসমর্পণ করেন। তাঁর আত্মসমর্পণের ফলে কেন্দ্রীয় প্রদেশগুলোর প্রতি সাম্রাজ্যবাদী হুমকির অবসান ঘটে (সানসোম ১৯৬১: ১০৮)।
=== দরবারের কাছে বৈধতা চাওয়া ===
১৩৭০ সালে ইমাগাওয়া সাদায়ো (রিওশুন) দ্বারা নিযুক্ত করা হয়েছিল কানরেই ইয়োরিয়ুকি এবং সিনিয়র করদ রাজ্য কাউন্সিল কিউশুতে দক্ষিণ দরবারের প্রতিরোধের শেষ দুর্গটি নামিয়ে আনতে। বারো বছরের কঠোর অভিযানের পর সাম্রাজ্যবাদী প্রতিরোধ ১৩৮১ সালে কিকুচি পরিবারের পরাজয়ের সাথে ভেঙে পড়ে। ১৩৮৫ সালে শিমাজু উজিহিসার মৃত্যুর সাথে সাথে সর্বশেষ কিউশু প্রাদেশিক ডোমেন শাসনব্যবস্থার প্রতি তার আনুগত্য ঘোষণা করেছিল (সানসোম ১৯৬১: ১১২)। কিউশুর পতনের সাথে সাথে সমগ্র পশ্চিম জাপান আশিকাগা শাসনের শাসন ও প্রভাবের অধীনে আসে। তবে, অভিজাতদের উপর আশিকাগা শাসনকে বৈধতা দেওয়ার জন্য একা প্রচারণা অপর্যাপ্ত ছিল। ১৩৬৭ এর পর শোগুন যোশিমিতসুর সংখ্যালঘু সময়ে, কানরেই হোসোকাওয়া ইয়োরিয়ুকি অভিজাতদের চোখে শাসনকে বৈধতা দেওয়ার প্রয়াসে সক্রিয় হয়ে ওঠেন। তিনি বেশ কয়েকটি অত্যন্ত রক্ষণশীল পদক্ষেপের মাধ্যমে এটি করেছিলেন, কিয়োটোর অভিজাতদের মধ্যে প্রতিপত্তি অর্জন করেছিলেন। তিনি তরুণ শোগুনকে এতে অংশ নিয়ে একটি প্রাচীন দরবার র্যাংকিং সিস্টেম ব্যবহার করেছিলেন (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ২৬)। তিনি অতীতের যে কোনও যোদ্ধা নেতার চেয়ে দরবারের সাথে শাসকগোষ্ঠীকে আরও ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত করেছিলেন। এটি করার মাধ্যমে, তিনি শাসনকে রাজদরবারের কাছাকাছি বেঁধে রেখেছিলেন, যার ফলে নানবোকু-চো দ্বন্দ্বে ইন্ধন জুগিয়েছিল এমন মতাদর্শের কলঙ্ক মুছে ফেলা হয়েছিল: আশিকাগা তাকাউজিকে সাম্রাজ্যবাদী শক্তি পুনরুদ্ধারের বিরুদ্ধে লড়াই করা বিশ্বাসঘাতক হিসাবে দেখা হয়েছিল।
জাপানি সমাজের বিভিন্ন শ্রেণির মধ্যে এর জনপ্রিয়তার কারণে দরবার সমাজ এত দীর্ঘ সময় টিকে ছিল। এস্টেট স্তরে, কৃষকরা যোদ্ধাদের চেয়ে অভিজাতদের সাথে অনেক বেশি ঘনিষ্ঠ বোধ করেছিল। অভিজাতদের ক্ষয়িষ্ণু শক্তি সত্ত্বেও, তাদের প্রভাব তাদের প্রকৃত ক্ষমতার বাইরে চলে গিয়েছিল। কারণ তারা ঐতিহ্যের বৈধতা এবং সংস্কৃতির ক্যারিশমা ধারণ করেছিল যা যোদ্ধাদের ছিল না। এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই যে ইয়োরিয়ুকি তরুণ শোগুনকে দরবারের অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিল: এই অংশগ্রহণটি মধ্যস্থতাকারী ছিল, দরবারের র্যাংকিং সিস্টেমের সর্বোচ্চ সামরিক নেতাকে জড়িত করেছিল যা বেশ কয়েক শতাব্দী আগের, এবং এর ভিত্তি হিসাবে যোদ্ধাসহ প্রত্যেকের উপর সাম্রাজ্যবাদী ধারার প্রাধান্য ছিল, যাদের সম্রাটের কাছ থেকে উপাধি পেতে হয়েছিল। এই দরবারের র্যাংকিং রীতিতে অংশ নিয়ে, আশিকাগা শাসন পুরো সমাজকে একটি শক্তিশালী বার্তা পাঠাচ্ছিল: দরবার কর্তৃক প্রদত্ত বৈধতা এখনও বৈধ এবং এখনও গুরুত্বপূর্ণ (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ২০)। এই অংশগ্রহণ যোদ্ধা শাসন এবং দরবারের মধ্যে উত্তেজনা দূর করেছিল এবং যোদ্ধা শ্রেণির মধ্যে দরবারের সংস্কৃতি প্রচারের অনিচ্ছাকৃত প্রভাব ফেলেছিল, স্বাদের একটি সংমিশ্রণ তৈরি করেছিল যা চিরকালের জন্য জাপানি সংস্কৃতির এই সময়টিকে উজ্জ্বল উদ্ভাবনের এক হিসাবে চিহ্নিত করেছে। একদিক থেকে এই অংশগ্রহণ ছিল একটি অপ্রচলিততা যা বাস্তব জগৎ থেকে সরানো বলে মনে হয়েছিল,খানে যোদ্ধারা সরাসরি ক্ষমতা প্রয়োগ করত। তবে, বৈধতার প্রশ্নটি অগত্যা ক্ষমতার প্রত্যক্ষ অনুশীলনের সাথে আবদ্ধ নয়। বৈধতা মতাদর্শের সাথে আবদ্ধ, এবং অভিজাত আভিজাত্য শাসনের আদর্শিক ভিত্তি যোদ্ধাদের শাসনের চেয়ে ভাল ভিত্তি ছিল। একা শক্তি প্রয়োগ বৈধতা তৈরি করতে পারে না, এবং দরবারকে ঘিরে যে সাংস্কৃতিক পরিবেশ ছিল তা এখনও সামুরাই তরোয়ালের চেয়ে অনেক বেশি প্ররোচিত, অনেক বেশি মার্জিত ছিল। যোদ্ধারা নিজেরাই আভিজাত্যদের সংস্কৃতির প্রতি আকৃষ্ট হয়েছিল এবং উত্সাহের সাথে পরবর্তীকালের স্বাদগুলো অনুকরণ করেছিল যতক্ষণ না তারা এমন একটি সংশ্লেষণ তৈরি করতে সক্ষম হয়েছিল যা আগে যা ছিল তার বাইরে চলে গিয়েছিল যেমন জেন দ্বারা প্রভাবিত রক গার্ডেনের উত্থান অন্যান্য শিল্প ফর্মগুলোর মধ্যে যা আজ অবধি স্থায়ী প্রভাব ফেলেছে। এবং কেবল এই কারণেই, চতুর্দশ শতাব্দীর শেষ কয়েক দশক ধরে শোগুন এবং রাজদরবারের মধ্যে যে সংযোগ কার্যকর হয়েছিল, তা শোগুনের শক্তির বৈধতা প্রশস্ত করার প্রভাব ফেলেছিল।
দ্য কানরি ইয়োরিয়ুকি ১৩৬৮ সালে শেষ অর্ধ-কর ডিক্রি (হানজেই) জারি করেছিলেন। এই ডিক্রিটি একটি বিস্তৃত এবং সিদ্ধান্তমূলক মধ্যস্থতাকারী যন্ত্র ছিল যা শাসকদের সাথে মহৎ স্বার্থকে বেঁধে রাখার জন্য ব্যবহৃত হয়েছিল: এটি রাজকীয় পরিবারের মালিকানাধীন জমি, প্রধান মন্দিরগুলোর নিয়ন্ত্রণাধীন জমি এবং রাজকীয় রিজেন্টদের মালিকানাধীন জমি (ফুজিওয়ারা) নিষিদ্ধ করেছিল। ব্যতিক্রমগুলোর মধ্যে আভিজাত্য জমিগুলোও অন্তর্ভুক্ত ছিল যা পূর্ববর্তী শোগুন (সম্ভবত যোশিয়াকিরা?) দ্বারা সম্পূর্ণ শিরোনাম দেওয়া হয়েছিল এবং সামুরাই স্টুয়ার্ডস (জিটো) দ্বারা পরিচালিত এস্টেটগুলো (উইন্টারস্টিন ১৯৭৪: ২১৯-২০)। এই ডিক্রিটি দেশব্যাপী সমস্ত এস্টেটের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য ছিল এবং এর আসল গুরুত্ব ছিল এস্টেটগুলোতে আরও সামুরাই আক্রমণ রোধ করতে এবং ইতিমধ্যে সংঘটিত সামুরাই আক্রমণের মুখে অভিজাতদের স্বার্থ রক্ষার জন্য ব্যবহৃত শক্তিশালী ভাষা। পূর্ববর্তী অর্ধ-করের ডিক্রিগুলোর বিপরীতে, এটি রক্ষণশীল ছিল এবং এর লক্ষ্য ছিল অভিজাত জমিগুলোকে ন্যায়সঙ্গত করার পরিবর্তে বিভাজন থেকে রক্ষা করা।
১৩৬৮ অর্ধ-কর ডিক্রির সাথে, শাসনটি ১৩৫২ ডিক্রি থেকে অনেক দূরে এসেছিল। তবে ইতিমধ্যে সংঘটিত সামুরাই আক্রমণের বাস্তবতা বিপরীত করা যায়নি। এখানে, মতাদর্শগতভাবে প্রকাশ্যে যা বলা হয়েছিল তা প্রদেশগুলোতে প্রকৃতপক্ষে যা ঘটছিল তা থেকে বিচ্যুত হয়েছিল। যেমনটি আমরা উপরে দেখেছি, ১৩৬৮ ডিক্রি সত্ত্বেও এস্টেটগুলোতে সামুরাই এবং শুগো প্রভুদের আক্রমণ মারাত্মক ছিল। আর পঞ্চদশ শতাব্দীতে ভূমি দখলের এই প্রবণতা আরও প্রকট হতে থাকে। আমাকে অবশ্যই এই সিদ্ধান্তে উপনীত হতে হবে যে ১৩৬৮ ডিক্রিটি যোদ্ধাদের অব্যাহত যোদ্ধা টেকওভারের প্রমাণের কারণে এস্টেট এবং তাদের আয়ের উপর নিয়ন্ত্রণ নেওয়া থেকে বিরত রাখতে সামগ্রিকভাবে অকার্যকর ছিল। এক অর্থে, ১৩৬৮ সালের ডিক্রিটি একটি আদর্শিক দলিল ছিল যা শোগুন এবং রাজকীয় দরবারের মধ্যে প্রতিষ্ঠিত ঘনিষ্ঠ সংযোগগুলো অনুসরণ করে আভিজাত্যদের চোখে আশিকাগা শাসনকে বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। তদুপরি, আশিকাগা শোগুনরা ইচ্ছা থাকলেও এস্টেটগুলোর আয়ের উপর যোদ্ধাদের অব্যাহত আক্রমণ বন্ধ করতে সক্ষম ছিল না। যতই অকার্যকর হোক না কেন, ১৩৬৮ সালের ডিক্রি স্বীকৃত মহৎ স্বার্থ একটি যোদ্ধা শাসন দ্বারা মতাদর্শগতভাবে রক্ষা করা হয়েছিল এবং এই প্রক্রিয়ায় উভয়ের স্বার্থকে একত্রে আবদ্ধ করা হয়েছিল।
অবশেষে, ১৩৬০-এর দশকে আবির্ভূত মুরোমাচি শাসনের প্রত্যক্ষ শাসন ভৌগোলিকভাবে কান্তোতে অবস্থিত পূর্ববর্তী কামাকুরা শাসনের বিপরীতে পশ্চিম ও কেন্দ্রীয় প্রদেশগুলোতে সীমাবদ্ধ ছিল। বাইরে শুগো লর্ডস (তোজামা) আশিকাগার সাথে সম্পর্কিত নয় যেমন টেকেদা, চিবা, ইউকি, সাতাকে, ওয়ামা, উতসুনোমিয়া, শোনি, ওটোমো, আসো এবং শিমাজু পরিবারগুলো, যাদের সকলেই কানটো এবং কিউশু অঞ্চলে বা তার কাছাকাছি কেন্দ্রীভূত ছিল তারা কানরেই কাউন্সিল ব্যবস্থায় অংশ নেয়নি এবং শাসন থেকে আধা-স্বাধীন ছিল (ভার্লি ১৯৬৭: ২৯; ভার্লি ১৯৬৭: ২৯)। হল ১৯৬৬: ১৯৯)। কিয়োটো থেকে সহজে নিয়ন্ত্রিত হয়নি এমন অঞ্চলে তাদের প্রধান অবস্থানের কারণে আশিকাগা দ্বারা তাদের মৌনভাবে স্বীকৃত এবং শুগো উপাধি দেওয়া হয়েছিল (হ্যারিংটন ১৯৮৫: ৬৭)।
=== কিউশু ===
১৩৭০ সালে শুরু হওয়া কিউশু অভিযানের পর কিউশু ডেপুটি (তান্দাই) সেই দ্বীপে মুরোমাচি শাসনের প্রতিনিধি হন। ইমাগাওয়া সাদায়ো (রিওশুন) কার্যকরভাবে দক্ষিণ দরবারের বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযানের বিচার করেছিলেন এবং শিমাজু উজিহিসার বাহিনীর বিরুদ্ধে তার আক্রমণ চালিয়ে যান, প্রক্রিয়াটিতে স্থানীয় কিউশু কোকুজিনের সমর্থন অর্জন করেছিলেন (হ্যারিংটন ১৯৮৫: ৮৫-৬)। সাদায়োর মতো ডেপুটিরা তাদের নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে মুরোমাচির প্রতিনিধি ছিলেন, এমনকি যখন তারা স্থানীয় সামুরাইকে করদের পুরো ক্ষমতা অহংকার করেছিলেন। উদাহরণস্বরূপ, ১৩৭৭ সালে সাদায়ো এবং একষট্টি জন স্থানীয় সামুরাইয়ের সমন্বয়ে একটি সামুরাই জোট (ইক্কি) এর মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। চুক্তিতে শর্ত দেওয়া হয়েছিল, জোটের সদস্যদের মধ্যে সমস্ত বিরোধ কিউশু ডেপুটির কাছে নিয়ে যাওয়া হবে, যখন জোটের সদস্য এবং ডেপুটির মধ্যে বিরোধগুলো কিয়োটোর মুরোমাচি শাসনে নিয়ে যাওয়া হবে (হ্যারিংটন ১৯৮৫: ৮৭)। কিউশু ডেপুটি ছিলেন একজন মধ্যস্থতাকারী ব্যক্তিত্ব যিনি শাসকদের স্বার্থ এবং তার এখতিয়ারাধীন স্থানীয় অঞ্চলের স্বার্থকে একত্রিত করেছিলেন। স্বাধীনতার প্রলোভনের কারণে এটি একটি অনিশ্চিত অবস্থান ছিল। তবে যে কোনও কারণেই হোক না কেন, মুরোমাচি শাসন পুরো জাতির উপর তাদের সরাসরি নিয়ন্ত্রণ প্রসারিত করেনি এবং তাই জবরদস্তিমূলক ও মধ্যস্থতাকারী যন্ত্রের মাধ্যমে এই অঞ্চলের শুগো প্রভু এবং সামুরাইকে প্রভাবিত করার জন্য তাদের প্রতিনিধি হিসাবে কাজ করার জন্য কিউশু ডেপুটির মতো নিয়োগকারীদের উপর নির্ভর করতে এসেছিল।
=== কান্তো ===
চতুর্দশ শতাব্দীর শেষের দিকে, কানটো অঞ্চলটি শক্তিশালী যোদ্ধা পরিবারগুলোর দ্বারা আধিপত্য ছিল। এর মধ্যে উসুগিরা ছিল সবচেয়ে শক্তিশালী। তারা তাদের নিজস্ব স্বার্থ এগিয়ে নেওয়ার জন্য এই অঞ্চলের পরিবারগুলোর মধ্যে ছড়িয়ে পড়া লড়াইয়ের সুযোগ নিতে সক্ষম হয়েছিল। ১৩৬৮ সালে উৎসুনোমিয়া পরিবার মুরোমাচি শাসনের কামাকুরা সদর দফতরের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছিল। কারণ তারা উয়েসুগির কাছে তাদের শুগো পোস্ট হারিয়েছিল। উসুগি পরিবার তাদের এখতিয়ারের অধীনে শুগো পোস্ট সংগ্রহ করে এবং অন্যান্য পরিবারের ব্যয়ে কান্টো অঞ্চলে করদ রাজ্যগুলোর ঘিরে ফেলে তাদের প্রভাব প্রসারিত করতে সক্ষম হয়েছিল (হ্যারিংটন ১৯৮৫: ৮২-৩)। কেউ একটি তত্ত্ব এগিয়ে নিতে পারে যে কান্টো অঞ্চলটি কিয়োটো থেকে আধা-স্বাধীন হয়ে উঠেছে এবং উসুগি সমর্থনের কারণে মুরোমাচি শাসনের কামাকুরা সদর দফতর বিদ্যমান ছিল। উয়েসুগি পরিবার তাদের অনাকাঙ্ক্ষিত অবস্থানের কারণে কান্টো কানরেই পদে তাদের নিয়োগের মাধ্যমে মুরোমাচি সরকার কর্তৃক আইনত স্বীকৃত হয়েছিল।
মুরোমাচি শাসনের কামাকুরা সদর দফতর কিউশু ডেপুটি (তান্দাই) এর মতোই কাজ করেছিল: এটি আঞ্চলিক মধ্যস্থতাকারী অফিসে পরিণত হয়েছিল যার মাধ্যমে শাসনের আদেশ বহির্মুখী কানটো অঞ্চলে প্রেরণ করা হয়েছিল। উপরে দেখা বাস্তবে, কান্টো উসুগির মতো শক্তিশালী পরিবার দ্বারা আধিপত্য ছিল। ক্রমবর্ধমানভাবে, কামাকুরা সদর দফতর মুরোমাচি শাসন থেকে স্বাধীন হয়ে ওঠে এবং সমস্ত প্রয়োজনীয় উদ্দেশ্যে আঞ্চলিক বিরোধ, আঞ্চলিক কর আরোপের যত্ন নেয় এবং কিয়োটোর মুরোমাচি সরকারের ন্যূনতম উল্লেখ সহ কান্টোতে শুগো প্রভুদের সাথে সম্পর্ক গড়ে তোলে - যদিও জায়গীর নিশ্চিত করার অধিকার এবং শুগো নিয়োগ অনুমোদনের অধিকার প্রযুক্তিগতভাবে কিয়োটোর হাতে রয়ে গেছে (হ্যারিংটন ১৯৮৫: ৮৩-৫)।
=== আশিকাগা শক্তির কেন্দ্রীকরণ এবং নানবোকু-চো যুদ্ধের সমাপ্তি: ১৩৭৯–১৩৯৯ ===
১৩৬০-এর দশকের গুরুত্বপূর্ণ দশকে একের পর এক প্রতিরোধের ক্ষেত্র মুরোমাচি শাসনের হাতে পড়েছিল: স্পষ্টতই, ওচি এবং ইয়ামানার মতো শক্তিশালী শুগো প্রভুরা নিজেদেরকে আধা-স্বাধীন প্রভু হিসাবে জমা দিয়েছিলেন; সময় যত গড়িয়েছে ততই দক্ষিণ কোর্টের প্রতিরোধ আরও নিরর্থক হয়ে উঠেছে। সামরিকভাবে শাসনব্যবস্থা ১৩৬৬৬৬৬৬ সালে শুগো প্রভুদের তাদের নিজস্ব সহকর্মীদের একজনকে আক্রমণ করার আহ্বান জানাতে সক্ষম হয়েছিল, শোগুনাল নিয়ন্ত্রণে শুগোর ক্রমবর্ধমান অধীনতার দিকে ইঙ্গিত করে। কানরেই কাউন্সিল সিস্টেম তৈরি এবং বাকুফু আমলাতন্ত্রে শক্তিশালী শুগো পরিবারগুলোর ক্রমবর্ধমান অংশগ্রহণের সাথে হাত মিলিয়ে রাজকীয় দরবারের সাথে সম্পর্ক শাসনের বৈধ ভিত্তিকে আরও প্রশস্ত করেছিল। এই মূল বিকাশগুলো কেবল শোগুনাল নিয়ন্ত্রণ বাড়ানোর জন্যই নয়, শুগো প্রভু এবং অভিজাতদের স্বার্থকে শাসনের সাথে আরও ঘনিষ্ঠভাবে আবদ্ধ করার জন্য ব্যবহৃত হয়েছিল। [১৮] তবে, ভৌগোলিকভাবে, মুরোমাচি শাসনের পরিধি সীমিত ছিল, কানটো এবং কিউশু অঞ্চলের এখতিয়ার আঞ্চলিক প্রতিনিধিদের কাছে অর্পণ করে এবং হনশুর কেন্দ্রীয় ও পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশগুলোর উপর কমবেশি সরাসরি নিয়ন্ত্রণ রেখেছিল।
১৩৭৯ সালে যোশিমিতসুর কর্তৃত্ব গ্রহণের পঞ্চাশ বছর পর মুরোমাচি শাসন দেশের অপ্রতিদ্বন্দ্বী সরকার হিসাবে তার সবচেয়ে শক্তিশালী পর্যায়ে প্রবেশ করেছিল। শোগুনের নিয়ন্ত্রণ বাড়ার সাথে সাথে শোগুন এবং শুগো প্রভুদের মধ্যে সংযোগ আরও শক্ত হয়েছিল। প্রধান যন্ত্র এবং তাদের প্রভাবগুলো যা শোগুনকে শুগো প্রভুদের উপর নিয়ন্ত্রণ প্রয়োগ করতে এবং জড়িত শাসনের বৈধতার ভিত্তিকে প্রশস্ত করতে সক্ষম করেছিল: ১) মুরোমাচি শাসন এবং রাজকীয় দরবারের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের ধারাবাহিকতা; ২) শুগো প্রভুদের লক্ষ্য করে বাধ্যতামূলক আবাসিক নীতি; ৩) শোগুণাল আর্মির (গোবাঁশু) অধিকতর উন্নয়ন; ৪) বেশ কয়েকটি শুগো প্রভুর জোট ব্যবহার করে শোগুনাল আধিপত্যের উত্থান। ৫) শাসকগোষ্ঠী কর্তৃক বাণিজ্যিক ও কৃষি রাজস্ব এবং করের ব্যবহার। এই সমস্ত পরিবর্তনগুলো কেন্দ্রীভূত শক্তির অব্যাহত প্রবণতার উদাহরণ দেয় যা শাসনের শক্তি বৃদ্ধি করেছিল। আশিকাগা এবং সাম্রাজ্যীয় দরবার
অধীনে যোশিমিতসু (সক্রিয় ১৩৭৯–১৪০৮) যিনি ইয়োরিয়ুকিকে বরখাস্ত করার পরে ক্ষমতার লাগাম ধরেছিলেন কানরেই, এই বিশেষ সংযোগের প্রভাবগুলো জাপানি ইতিহাসের অন্যতম উজ্জ্বল সময়কে উত্সাহিত করেছিল, স্থাপত্য ও সাংস্কৃতিক ফর্মগুলোর পরিপক্কতার জন্য বিখ্যাত যা তখন থেকে জাপানি সংস্কৃতির বৈশিষ্ট্যযুক্ত। রাজদরবার এবং এর সংস্কৃতির সাথে তাঁর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক এবং নতুন শিল্পের প্রতি তাঁর পৃষ্ঠপোষকতা সামরিক অভিজাতদের কাছে বিশেষত শুগো প্রভুদের মাধ্যমে এই সংস্কৃতি ছড়িয়ে দিতে সহায়তা করেছিল (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ৩১-৩২; গ্রসবার্গ ১৯৮১: ৩১-৩২)। কাওয়াই ১৯৭৭: ৭২)। শোগুন এবং রাজকীয় দরবারের মধ্যে এই সংযোগ উভয় প্রতিষ্ঠানে অতিরিক্ত মর্যাদা এনেছিল এবং শোগুনকে নাগরিক বৈধতা এবং সংস্কৃতির আভা দিয়েছিল যা পূর্ববর্তী কামাকুরা শাসনের অভাব ছিল।
দরবারের প্রতিষ্ঠানগুলোতে অংশ নিয়ে, শোগুন দরবারের সংস্কৃতির বেশিরভাগ পরিমার্জিত বিনোদনও গ্রহণ করেছিলেন। পূর্ব প্রাতিষ্ঠানিক সংযোগের ফলে সাংস্কৃতিক সাধনা এসেছিল। আদর্শিক ন্যায্যতার সাথে সংস্কৃতির আরও মিল রয়েছে: যেমনটি আমরা আগের বিভাগে দেখেছি, দরবারের সংস্কৃতির বেশিরভাগ অংশ যোদ্ধাদের কাছে অস্বীকার করা বৈধতা উপভোগ করেছিল।
=== বলপ্রয়োগের একচেটিয়া: বাধ্যতামূলক বাসস্থান ===
শোগুন-শুগো সম্পর্কের দিকে অগ্রসর হয়ে, ১৩৮০-এর দশকে কানরেই কাউন্সিল ব্যবস্থাটি যোশিমিতসু দ্বারা শক্তিশালী করা হয়েছিল যখন তিনি পশ্চিম ও মধ্য শুগো প্রভুদের কিয়োটোতে বাসস্থান নিতে রাজি করেছিলেন। এমনকি তিনি ১৩৮৯ সালে ওউচি ইয়োশিহিরোর সাথে দেখা করতে গিয়েছিলেন এবং তার তথাকথিত তীর্থযাত্রার সময় তাকে কিয়োটোতে বাস করতে রাজি করান। এই সার্কিটগুলো তিনি যে প্রদেশগুলোতে ভ্রমণ করেছিলেন সেগুলোর মাধ্যমে তাঁর শক্তি প্রদর্শন করতে ব্যবহৃত হয়েছিল (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ২৯-৩০)। যোশিমিতসু যে বাধ্যতামূলক আবাসিক নীতি চালু করেছিলেন তা ছিল প্রধান জবরদস্তিমূলক নীতি যা কানরেই কাউন্সিল ব্যবস্থাকে সহায়তা করেছিল এবং শোগুনকে শুগো প্রভুদের চারপাশে তার খপ্পর শক্ত করতে সক্ষম করেছিল। রাজধানী শহর ছেড়ে যাওয়ার অনুমতি খুব কমই শুগো প্রভুকে দেওয়া হয়েছিল: এটি কেবল সিনিয়র করদ রাজ্য কাউন্সিলে আলোচনার পরে মঞ্জুর করা হয়েছিল। এমনকি প্রাদেশিক বিদ্রোহ বা দক্ষিণ দরবারের গেরিলা কার্যকলাপের ক্ষেত্রে অনুমতি দেওয়া হলেও, উপযুক্ত জিম্মিদের কিয়োটোতে রেখে দেওয়া হয়েছিল। যদি শুগো প্রভু অনুমতি ছাড়াই চলে যান তবে এটি রাষ্ট্রদ্রোহের সমতুল্য হিসাবে দেখা হত (কাওয়াই ১৯৭৭: ৬৮-৯; তনুমা ১৯৭৬: ১৩)।
কান্তো এবং কিউশু শুগোকে কিয়োটোতে বাধ্যতামূলক বসবাসের এই আদেশ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল। যাইহোক, মুরোমাচি শাসনের কামাকুরা সদর দফতর কান্টো শুগো প্রভুদের ক্ষেত্রে অনুরূপ নীতি প্রবর্তন করেছিল এবং তাদের কামাকুরায় প্রাসাদ প্রতিষ্ঠা করতে বাধ্য করেছিল যেমন পশ্চিম ও কেন্দ্রীয় শুগো প্রভুরা কিয়োটোতে প্রাসাদ তৈরি করেছিল (কাওয়াই ১৯৭৭: ৬৮)। কিয়োটোতে ম্যানশন বিল্ডিং ফ্যাশনেবল হয়ে ওঠে এবং শেষ পর্যন্ত কিউশুর শিমাজুর মতো শুগো প্রভুদের অন্তর্ভুক্ত করে, যিনি কিয়োটোতে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যদিও তার এটি করার প্রয়োজন ছিল না। শুগো প্রভুদের সত্যিই এই বিষয়ে খুব কম পছন্দ ছিল। তারা হয় কিয়োটোতে বাস করত অথবা শাসকগোষ্ঠীর বিশ্বাসঘাতক হিসাবে চিহ্নিত হয়েছিল। কানরেই কাউন্সিল সিস্টেমের মতো প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি, বাধ্যতামূলক আবাসিক নীতির জাতীয় দৃষ্টিকোণ থেকে এবং প্রাদেশিক দৃষ্টিকোণ থেকে উভয়ই অগণনীয় প্রভাব ছিল। প্রারম্ভিকদের জন্য, শুগো প্রভুদের শক্তি এই নীতি দ্বারা মারাত্মকভাবে সীমাবদ্ধ ছিল: তাদের চলাচলের স্বাধীনতা অবরুদ্ধ করা হয়েছিল। দ্বিতীয়ত, পঞ্চদশ শতাব্দীর দ্বিতীয় চতুর্থাংশে সময় অতিবাহিত হওয়ার সাথে সাথে প্রদেশগুলোতে প্রকৃত শক্তি শুগো প্রভুদের কাছ থেকে দূরে সরে যায় এবং ডেপুটি শুগো (শুগো-দাই) এবং প্রদেশগুলোতে বসবাসকারী অন্যান্য স্বাধীন সামুরাই (কোকুজিন) এর উপর বিশ্রাম নেয়। সুতরাং, শুগো প্রভুদের দৃষ্টিকোণ থেকে বাধ্যতামূলক আবাসিক নীতি দীর্ঘমেয়াদী বিপর্যয় হিসাবে প্রমাণিত হয়েছিল (কাওয়াই ১৯৭৭: ৭৩)। ডেপুটি শুগোর নিয়োগের প্রয়োজন ছিল বাধ্যতামূলক আবাসিক নীতি যদি শুগো প্রভুরা প্রদেশগুলোতে তাদের ক্ষমতা বজায় রাখতে চায়। স্বল্পমেয়াদে, শাখা পরিবারের সদস্যদের এবং সামুরাই কোকুজিনকে ডেপুটি শুগো হিসাবে নিয়োগ দেওয়া এবং প্রদেশগুলোতে তাদের নিজস্ব প্রতিনিধি হিসাবে ব্যবহার করা ভাল কাজ করেছিল; কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে, শুগো প্রভুদের হাত থেকে ক্ষমতা তাদের ভাড়া করা লোকদের হাতে চলে যায়।
=== শোগুনাল আর্মি ===
ইয়োশিমিতসু সামরিক শক্তি প্রয়োগ করে শুগো প্রভুদের আনুগত্যে নামিয়ে আনতে দ্বিধা করেননি এই অজুহাতে যে তারা খুব শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। তিনি তাঁর উপর নির্ভরশীল প্রায় তিন হাজার যোদ্ধা নিয়ে পাঁচটি বিভাগ নিয়ে গঠিত একটি নতুন শোগুনাল সেনাবাহিনী (গোবাঁশু) একত্রিত করেছিলেন (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ১০৬-৭)। এই বাহিনীটি একটি শক্তিশালী অ্যারে ছিল, বিশেষত যখন তারা অন্যান্য শুগো প্রভুদের অবদানের দ্বারা বৃদ্ধি পেয়েছিল। শোগুনাল সেনাবাহিনীর গুরুত্ব পরিমাণের বাইরে চলে যায়। তবে এই বাহিনীটি যা প্রতিনিধিত্ব করে তার উপর আরও আঘাত করে: কোকুজিন সামুরাই দ্বারা গঠিত তার নিজস্ব করদ রাজ্যগুলোর সাথে শোগুনকে সরাসরি সংযুক্ত করে একটি পৃথক বাহিনী। শোগুনাল সেনাবাহিনী শুগো বাহিনীর উপর নজরদারি হিসাবে কাজ করেছিল। দ্বিতীয় অধ্যায়ে আমরা দেখেছি, প্রথম আশিকাগা শোগুন, তাকাউজি, সামুরাই স্টুয়ার্ডদের সাথে এস্টেটের জমিতে আবদ্ধ করে তাদের সাথে সম্পর্ক তৈরি করেছিল। প্রারম্ভিক মুরোমাচি সময়কালে, শোগুনের কমান্ডের অধীনে এই পৃথক করদ রাজ্য শ্রেণিবিন্যাস শুগো শক্তির উপর একটি গুরুত্বপূর্ণ চেক ছিল। আমরা দেখব এই পূর্ববর্তী সেনাবাহিনী যোশিমিতসুর শোগুনাল সেনাবাহিনী থেকে কীভাবে আলাদা ছিল।
শোগুনাল সেনাবাহিনীর দুটি উপাদান ছিল: শোগুনাল দেহরক্ষী (শিনইগুন) আশিকাগা শাখা পরিবারের সদস্য, শুগো আত্মীয় এবং শুগো শাখার পরিবারের সদস্য, শাসক কর্মকর্তাদের অন্যান্য পুত্র ও ভাই এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণভাবে, শক্তিশালী কোকুজিন নিয়ে গঠিত। সংখ্যায় (বড়জোর সাড়ে তিনশো পুরুষ), এই দলটি একটি সুসংহত এবং অনুগত সংস্থা ছিল, যে কোনও মূল্যে শোগুনের ব্যক্তিকে রক্ষা করতে প্রস্তুত ছিল (আর্নেসেন ১৯৮৫: ১০২)। এই ছোট্ট ব্যান্ডের চারপাশে শোগুনের বেশ কয়েকটি প্রত্যক্ষ করদ রাজ্য ছিল যা ১৩৩৬ সালে এর উত্সটি সন্ধান করেছিল, যখন শোগুন তাকাউজি অনেক সামুরাইকে বাড়ির করদ রাজ্য হিসাবে ঘিরে ফেলেছিল যারা সম্ভবত রিজার্ভ সেনাবাহিনী হিসাবে ব্যবহৃত হয়েছিল (গে ১৯৮৬: ৯৫-৬); শোগুনাল দেহরক্ষীর সদস্যদের সাথে সংযুক্ত বৃহত্তর সংখ্যক পরোক্ষ করদ রাজ্য সম্ভবত যোশিমিতসুর অধীনে শোগুনাল সেনাবাহিনীর বেশিরভাগ অংশ তৈরি করেছিল। এই শেষ পয়েন্টটি আর্নেসেন দ্বারা ভালভাবে চিত্রিত হয়েছে, যিনি গণনা করেছিলেন যে শোগুনাল দেহরক্ষীতে সরাসরি করদ রাজ্যের সংখ্যা ষোড়শ শতাব্দীর শেষের দিকে হোজো বংশের অধীনে তালিকাভুক্ত প্রত্যক্ষ করদ রাজ্যের সংখ্যা ষাট থেকে সত্তর শতাংশ ছিল (১৯৮৫: ১২৬)। এবং যদি প্রয়াত হোজো ওডাওয়ারা অভিযানে পঞ্চাশ হাজার সৈন্য মাঠে নামাতে সক্ষম হত। তবে সাড়ে তিনশো শোগুনাল দেহরক্ষী সহজেই তাদের নিজস্ব করদ রাজ্যগুলোর একত্রিত করতে পারত যা গ্রসবার্গ দাবি করেছেন যে তিন হাজার সৈন্য নিয়ে এসেছিল যা গ্রসবার্গ দাবি করেছিলেন যে ১৩৯১ এর মেইটোকু রাইজিং (১৯৮১: ১০৭)। শোগুনাল দেহরক্ষীর সৃষ্টি এবং অন্যান্য শোগুনাল করদ রাজ্যগুলোর উপর এই গোষ্ঠীর কেন্দ্রীয় অবস্থানই যোশিমিতসুর শোগুনাল সেনাবাহিনীকে তাকাউজির শোগুনাল করদ রাজ্য থেকে পৃথক করে। নতুন শোগুনাল সেনাবাহিনীর সাথে একটি শক্ত সংগঠন এবং এসপ্রিট ডি কর্পস আবির্ভূত হয়েছিল।
=== শক্তিশালী শুগোকে পরাজিত করতে শুগো জোটের উসকো ===
তবে, যুদ্ধের ময়দানে কানরেই শ্রেণির শুগো প্রভুদের সাথে দেখা করতে এবং পরাজিত করার জন্য একা শোগুনাল সেনাবাহিনী পর্যাপ্ত ছিল না। তবে যোশিমিতসু যে ধরণের যুদ্ধ অনুশীলন করেছিলেন তার জন্য পুরোপুরি উপযুক্ত ছিল: একজন শুগো প্রভুকে পরিবারের সদস্যের বিরুদ্ধে এবং অন্যান্য শুগো প্রভুদের বিরুদ্ধে দাঁড় করানো। পূর্ববর্তী শোগুনের অধীনে উত্থিত নতুন শোগুনাল আধিপত্য, যোশিয়াকিরা, যোশিমিতসুর রাজনীতিতে আধিপত্য বিস্তার করতে এসেছিল। শোগুনাল প্রতিপত্তি অনানুষ্ঠানিকভাবে নির্দেশ দিয়েছিল যে কোনও একক শুগো প্রভু শোগুনের ক্রোধের শিকার না হয়ে ক্ষমতার একটি নির্দিষ্ট স্তর অতিক্রম করবেন না। এটি শুগো প্রভুদের নিজেদের স্বার্থেই ছিল যে তাদের নিজস্ব সহকর্মীদের কেউই বাকিদের উপর খুব বেশি শক্তিশালী এবং প্রভাবশালী হয়ে উঠবে না (ভার্লি ১৯৬৭: ৬৩-৬৪)।
এই নীতি অনুসরণ করে ১৩৮৯ সালে যোশিমিতসু মিনো, আইসে এবং ওওয়ারি প্রদেশের শুগো প্রভু টোকি ইয়াসুয়ুকিকে পরবর্তী প্রদেশটি এক আত্মীয়ের কাছে ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। ইয়াসুয়ুকি প্রত্যাখ্যান করেছিলেন এবং যোশিমিতসু ইয়াসুয়ুকির চাচাতো ভাই ইয়োরিমাসুকে তাকে আক্রমণ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। তিন বছর পরে ইয়াসুয়ুকি পরাজিত হন এবং ১৩৯১ সালে মিনো প্রদেশটি টোকি ইয়োরিমাসুকে ছেড়ে দেন (পাপিনোট ১৯৭২: ৬৫৯)। ইয়োশিমিতসুর কাছে যে প্রদেশটি ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল তা মিনো বা ওওয়ারি ছিল কিনা তা বিবেচ্য ছিল না যতক্ষণ না টোকি ইয়াসুয়ুকি কেন্দ্রীয় প্রদেশগুলোতে তার কিছু ক্ষমতা ছিনিয়ে নিয়েছিল।
১৩৯১ সালে মেইতোকু রাইজিং (রান) এর আগে, ইয়ামানা পরিবারের পশ্চিম ও মধ্য জাপানের এগারোটি প্রদেশ ছিল। এটি তাদেরকে দেশের সবচেয়ে শক্তিশালী শুগো পরিবারে পরিণত করেছিল। যোশিমিতসু তাদের আক্রমণ করার জন্য একটি অজুহাত খুঁজছিলেন। যখন ইয়ামানা মিতসুয়ুকি (যিনি ইজুমো, তাম্বা, হোকি এবং ওকি প্রদেশগুলোর উপর শুগো ছিলেন) ইজুমোতে রাজকীয় পরিবারের কিছু সম্পত্তি দখল করেছিলেন, যোশিমিতসু মিতসুয়ুকির বিরুদ্ধে অভিযানের পরিকল্পনা করার জন্য প্রাক্তন-কানরেই হোসোকাওয়া ইয়োরিয়ুকিকে স্মরণ করেছিলেন (পাপিনোট ১৯৭২: ৭৪৪)। ইয়ামানা শুগো প্রভু মিতসুয়ুকি এবং উজিকিও কিয়োটো আক্রমণ করেছিলেন, কিন্তু ওউচি যোশিহিরোর বাহিনীর সাথে কনসার্টে শোগুনাল সেনাবাহিনীর কাছে মারাত্মকভাবে পরাজিত হয়েছিলেন (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ৩০,১০৭; গ্রসবার্গ ১৯৮১: ৩০,১০৭; গ্রসবার্গ ১৯৮১: ৩০,১০৭)। আর্নেসেন ১৯৭৯: ৮২)। শোগুনের বাহিনী গঠিত অন্যান্য শুগো দলগুলোর প্রত্যেকের সংখ্যা তিন শতাধিক ঘোড়সওয়ারের বেশি ছিল না (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ১০৭)। অভিযানের পর ইয়ামানাকে কেবল দুটি প্রদেশ বরাদ্দ করা হয়েছিল, তাজিমা এবং হকি, এবং বিদ্রোহের নেতাদের হত্যা করা হয়েছিল, যুদ্ধে উজিকিও এবং ১৩৯৫ সালে হত্যার মাধ্যমে মিতসুইউকি (পাপিনোট ১৯৭২: ৭৪৪)। ১৩৯৯ সালে এক শুগো প্রভুর বিরুদ্ধে আরেক শুগো লর্ডের এই দাঁড় তুঙ্গে ওঠে। হাস্যকরভাবে, এবার লক্ষ্যবস্তু ছিল ওউচি ইয়োশিহিরো, যিনি ইয়ামানার বিরুদ্ধে প্রচারণায় শাসকদের ভালভাবে সেবা করেছিলেন। যোশিহিরোকে ১৩৯৭ সালে শোনি আক্রমণ করার আদেশ দেওয়া হয়েছিল যা তিনি করেছিলেন, প্রক্রিয়াটিতে তার ভাইকে হারিয়েছিলেন। পরে তিনি যোশিমিতসুর বাইজেন্টাইন দ্বিচারিতা সম্পর্কে শিখেছিলেন: শোনিকেও ওচি আক্রমণ করার আদেশ দেওয়া হয়েছিল। এই দ্বিচারিতায় ক্ষুব্ধ হয়ে এবং শোগুন যখন তাকে কিয়োটোতে ডেকে পাঠায় তখন তার জীবনের ভয়ে তিনি অবাধ্য হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ৩২)। অবাক হওয়ার কিছু নেই যে, শাসকগোষ্ঠী তাকে শত্রু ঘোষণা করেছিল। এ সাকাইয়ের যুদ্ধ, যোশিমিতসু পাঁচটি শুগো প্রভুর বাহিনী, হোসোকাওয়া, আকামাতসু, কিয়োগোকু, শিবা এবং হাতাকিয়ামার বাহিনী সহ শহরে আগুন লাগিয়ে যোশিহিরোর প্রতিরক্ষামূলক কাজগুলোকে অভিভূত করেছিল (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ৩৩; গ্রসবার্গ ১৯৮১: ৩৩)। সানসোম ১৯৬১: ১৪৯)। যোশিমিতসুর নেতৃত্বে মিত্র বাহিনী ওচির ৫,০০০ যোদ্ধার বিপরীতে ৩০,০০০ যোদ্ধা ছিল: যোশিহিরো কেবল যুদ্ধে অভিভূত হয়েছিলেন যেখানে তিনি আত্মহত্যা করেছিলেন (আর্নেসেন ১৯৭৯: ৮২,৮৬)। এই পূর্ববর্তী প্রতিটি উদাহরণ যেমন ব্যাখ্যা করে, শোগুনাল আধিপত্য খুব কার্যকর হয়ে ওঠে। এটি শুগো প্রভুদের সহকর্মীদের আক্রমণ ও ধ্বংস করে বিভক্ত করার জন্য ব্যবহৃত হয়েছিল। শোগুনাল আধিপত্য শোগুনাল সেনাবাহিনীর সাথে তাদের বাহিনীকে একত্রিত করতে শুগো প্রভুদের সহযোগিতা ছাড়া সফল হত না। তবে শোগুনাল সেনাবাহিনী এবং শাসকগোষ্ঠীর অন্যান্য ব্যয় নির্বাহের জন্য অর্থ না থাকলে এই জবরদস্তিমূলক নীতি অকল্পনীয় ছিল।
=== রাজস্ব ===
চতুর্দশ এবং পঞ্চদশ শতাব্দীর শেষের দিকে কিয়োটো অর্থনৈতিক কার্যকলাপের জন্য একটি উজ্জ্বল কেন্দ্র ছিল। শোগুন যোশিমিতসুর অধীনে উদ্ভূত বাধ্যতামূলক আবাসিক নীতির সাথে, শুগো প্রভুরা তাদের করদ রাজ্য এবং চাকরদের সাথে শহরের বিশিষ্ট জনগোষ্ঠীতে যুক্ত হয়েছিল যার মধ্যে অভিজাত, রাজকীয় দরবার এবং মুরোমাচি সরকার অন্তর্ভুক্ত ছিল। এটি বিভিন্ন পণ্য ও পরিষেবাদির জন্য একটি বিশাল বাজারে অনুবাদ করেছিল যা শহরের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে উত্সাহিত করেছিল। রাজধানীতে বসবাসকারী শোগুন এবং শুগো প্রভু উভয়ের জন্যই এই বৃদ্ধি গুরুত্বপূর্ণ ছিল: তারা ধারাবাহিকভাবে মহাজনদের সম্পদ (সাকায়া-দোসো) ব্যবহার করেছিল। শোগুন এমনকি তাদের শহরে কর আদায়কারী হিসাবে নিয়োগ করেছিল (কাওয়াই ১৯৭৭: ৭১; গ্রসবার্গ ১৯৮১: ৩৭,৭৮-৮০)। পূর্ববর্তী কামাকুরা শাসন থেকে মুরোমাচি শাসনকে এত আলাদা করে তুলেছিল তার আয়ের ভিত্তি। এর বেশিরভাগ রাজস্ব তার জমি বেস ছাড়াও বাণিজ্যিক কর থেকে এসেছিল।
প্রশাসন বোর্ড (ম্যান্ডোকোরো) মুরোমাচি শাসনের রাজস্ব সম্পর্কিত বিষয়গুলোর জন্য ক্লিয়ারিং হাউস হিসাবে ব্যবহৃত হত। এটি প্রধান আমলাতান্ত্রিক অঙ্গ ছিল যা করের উদ্দেশ্যে শহরের বিভিন্ন বাণিজ্যিক গোষ্ঠীর সাথে শাসনকে সংযুক্ত করেছিল। ১৩৯৩ সালে শাসন সরাসরি মহাজনদের উপর কর আরোপের অধিকারকে বৈধ করে (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ৭৮,৯৫-৬)। কিয়োটোতে মূল্যায়ন করা বাণিজ্যিক করগুলো নতুন নগর ভিত্তিক মুরোমাচি শাসনের ভিত্তি হয়ে ওঠে এবং সিদ্ধান্তমূলকভাবে শাসনব্যবস্থার প্রকৃতিকে কেবলমাত্র জমিদার সম্পত্তির উপর ভিত্তি করে একটি শাসনব্যবস্থায় পরিবর্তন করে আংশিকভাবে বাণিজ্য ভিত্তিক একটি শাসনব্যবস্থায় পরিণত করে।
ঐতিহ্যবাহী কৃষিভিত্তিক রাজস্ব তিনটি প্রধান উৎস থেকে আসত: শোগুনাল এস্টেট থেকে, শোগুনাল সামন্ত থেকে এবং শুগো প্রভুদের বিরুদ্ধে নির্ধারিত কর থেকে। আশিকাগা শোগুনদের অবতরণ ঘাঁটি তাদের উত্তরসূরিদের তুলনায় নগণ্য ছিল, টোকুগাওয়া; তবে, কিয়োটো এবং কান্টো অঞ্চলের মধ্যে প্রায় দুই শতাধিক শোগুনাল এস্টেট (গরিওশো) ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল এবং এই এস্টেটগুলো থেকে উত্তোলিত রাজস্ব উল্লেখযোগ্য ছিল (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ৭০-৩)। তদুপরি, শোগুনাল এস্টেট এবং শোগুনাল সেনাবাহিনীর মধ্যে সংযোগ নির্ধারক ছিল: সেনাবাহিনীতে দায়িত্ব পালনকারী কিছু পুরুষ শোগুনের ব্যক্তিগত সম্পত্তির পরিচালকও ছিলেন (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ১১২)। তদুপরি, অনেক স্থানীয় সামুরাই সরাসরি শাসনকে (কিয়োসাই) ভূমি কর প্রদান করেছিল যা তারা হাউস করদ রাজ্য (গোকেনিন) হিসাবে উপভোগ করেছিল, প্রক্রিয়াটিতে শুগো ট্যাক্স সংগ্রহকারীদের কাছ থেকে টিকা দেওয়া হয়েছিল (গ্রসবার্গ ১৯৮১; গ্রসবার্গ ১৯৮১)। উপরন্তু, শুগো প্রভুদের সরাসরি কর আদায় করা হয়েছিল (শুগো শুসেন) তারা কতগুলো প্রদেশ পরিচালনা করেছিল সে অনুসারে। যখনই কোনও বিল্ডিং তৈরি বা ঠিক করার জন্য ছিল এবং যখন শোগুনের বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য নগদ অর্থের প্রয়োজন হয়েছিল তখন শাসকরা এটি মূল্যায়ন করেছিল (কাওয়াই ১৯৭৭: ৭১; কাওয়াই ১৯৭৭: ৭১)। গ্রসবার্গ ১৯৮১: ৭৪)। কিয়োটো এবং ইয়ামাশিরো প্রদেশের উদীয়মান বাজার অর্থনীতির কারণে মুরোমাচি শাসনের রাজস্বের উত্সগুলো কামাকুরা শাসনের চেয়ে অনেক বেশি পরিমাণে বৈচিত্র্যময় ছিল। এটি মহাজনদের কাছ থেকে বাণিজ্যিক রাজস্ব আদায় হিসাবে অভিনব আকারে এসেছিল (সাকায়া দোসো): মুরোমাচি আমলাতন্ত্রের ক্ষমতা কাঠামো কার্যকরভাবে কিয়োটো শহরটি দখল করার পরে একটি কর মূল্যায়ন করা হয়েছিল।
== দক্ষিণ দরবার সম্রাট ==
* সম্রাট গো-দাইগো「後醍醐天皇」(১২৮৮–১৩৩৯, রাজত্বকাল ১৩১৮–১৩৩৯)
* সম্রাট গো-মুরাকামি「後村上天皇」(১৩২৮–১৩৬৮, রাজত্বকাল ১৩৩৯–১৩৬৮))
* সম্রাট চোকেই「長慶天皇」((১৩৪৩–১৩৯৪, রাজত্বকাল ১৩৬৮-১৩৮৩)
* সম্রাট গো-কামেয়ামা「後亀山天皇」(১৩৪৭-১৪২৪, রাজত্বকাল ১৩৮৩-১৩৯২)
== উত্তর দরবারের সম্রাট ==
* উত্তর আশিকাগা দাবিদার ১: সম্রাট কোগন「光厳天皇」(১৩১৩–১৩৬৪, রাজত্বকাল ১৩৩১–১৩৩৩)
* উত্তর আশিকাগা দাবিদার ২: সম্রাট কোমিয়ো「光明天皇」(১৩২২–১৩৮০, রাজত্বকাল ১৩৩৬–১৩৪৮)
* উত্তর আশিকাগা দাবিদার ৩: সম্রাট সুকো「崇光天皇」(১৩৩৪–১৩৯৮, রাজত্বকাল ১৩৪৮–১৩৫১)
* ইন্টাররেগনাম, নভেম্বর ২৬, ১৩৫১ থেকে ২৫ সেপ্টেম্বর, ১৩৫২ পর্যন্ত
* উত্তর আশিকাগা দাবিদার ৪: সম্রাট গো-কোগন「後光厳天皇」(১৩৩৮–১৩৭৪, রাজত্বকাল ১৩৫২–১৩৭১)
* উত্তর আশিকাগা দাবিদার ৫: সম্রাট গো-এন'ইউ「後円融天皇」(১৩৫৯–১৩৯৩, রাজত্বকাল ১৩৭১–১৩৮২)
3j1xinw7enev0uzjgjpxvw89xztv6if
84423
84422
2025-06-16T16:40:22Z
NusJaS
8394
/* কামাকুরা থেকে মুরোমাচি পর্যন্ত জমিদারি (শোয়েন) ব্যবস্থার বিবর্তন */
84423
wikitext
text/x-wiki
নানবোকু-চো যুগ (南北朝時代, নানবোকু-চো জিদাই) ১৩৩৬ সাল থেকে ১৩৯২ সাল পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। এটি মুরোমাচি যুগের একটি অংশ ছিল।
এই সময়ে দুটি সাম্রাজ্যীয় দরবার ছিল। এরমধ্যে কিয়োতোতে আশিকাগা তাকাউজি প্রতিষ্ঠা করেছিল উত্তর সাম্রাজ্যীয় দরবার; এবং সম্রাট গো-দাইগো ইয়োশিনোতে প্রতিষ্ঠা করেছিল ক্ষিণ সাম্রাজ্যীয় দরবার।
মতাদর্শগতভাবে, এই দুই দরবার প্রায় পঞ্চাশ বছর ধরে সংঘর্ষে লিপ্ত ছিল। তবে ১৩৯২ সালে দক্ষিণ দরবার উত্তর দরবারের কাছে আত্মসমর্পণ করে। বাস্তবে, উত্তর রাজবংশ ছিল আশিকাগা শোগুনদের নিয়ন্ত্রণাধীন এবং তাদের বাস্তবিক স্বাধীনতা খুবই সীমিত ছিল।
উনবিংশ শতাব্দী থেকে শুরু করে দক্ষিণ দরবারের সম্রাটদের জাপানের বৈধ সম্রাট হিসেবে গণ্য করা হয়। এর পেছনে কিছু কারণ ছিল—দক্ষিণ দরবারের হাতে জাপানি সম্রাজ্ঞী রাজমুকুট ও প্রতীকগুলোর নিয়ন্ত্রণ, এবং কিতাবাতাকে চিকাফুসার লেখা ''জিন্নো শোতোকি'' ছিল। এটি তাদের পরাজয়ের পরেও দক্ষিণ দরবারের বৈধতাকে সমর্থন করেছিল।
এই সময়কালের ঘটনাগুলোর প্রভাব এখনও আধুনিক জাপানের প্রচলিত দৃষ্টিভঙ্গিতে সম্রাট ব্যবস্থা (তেননো সেইকা) প্রভাবশালী হতে থাকে। রাষ্ট্রীয় শিন্তো ধর্মের প্রভাবে ১৯১১ সালের ৩ মার্চ জারিকৃত এক সাম্রাজ্যীয় ডিক্রিতে এই সময়ের বৈধ রাজাদের দক্ষিণ দরবারের সদস্য বলেই ঘোষণা করা হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর, কুমাজাওয়া হিরোমিচি থেকে শুরু করে একদল দাবিদার নিজেদের দক্ষিণ দরবার থেকে বংশোদ্ভূত দাবি করে এবং উত্তর দরবার থেকে আসা রাজবংশের আধুনিক সাম্রাজ্যীয় ধারার বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে।
১৩৩৩ সালে কামাকুরা শোগুনাতের পতন এবং ১৩৩৬ সালে কেম্মু পুনর্গঠনের ব্যর্থতা নতুন শাসনব্যবস্থার বৈধতা নিয়ে সংকট তৈরি করে। পাশাপাশি, অভিজাত এবং যোদ্ধাদের আয়ের ভিত্তি জমিদারি ব্যবস্থায় (শোয়েন) কাঠামোগত পরিবর্তন সমাজের বিভিন্ন শ্রেণির অবস্থান পরিবর্তনে বড় ভূমিকা রাখে। নানবোকু-চো যুদ্ধের মধ্য দিয়ে যে মুরোমাচি শাসন ব্যবস্থা উদ্ভূত হয়, তা যোদ্ধা শ্রেণির অর্থনৈতিক ভিত্তিকে প্রসারিত করে। তবে অভিজাত মালিকদের ক্ষমতা হ্রাস করে। এটি কামাকুরা বাকুফুর সময় থেকেই শুরু হয়েছিল।
== কামাকুরা বাকুফুর পতন ==
গৃহযুদ্ধের সূচনায় অবদান রাখা প্রধান কারণ ছিল—হোজো পরিবার ও অন্যান্য যোদ্ধা গোষ্ঠীর মধ্যে ক্রমবর্ধমান বিরোধ। এটি ১২৭৪ এবং ১২৮১ সালের মঙ্গোল আক্রমণের পর থেকে বৃদ্ধি পায়। এছাড়াও আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ ছিল কেম্মু পুনর্গঠনের ব্যর্থতা। এটি সম্রাট-অনুগামী ও আশিকাগা গোষ্ঠীর সমর্থকদের মধ্যে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করে।
১৩শ শতাব্দীর শেষদিকে হোজো-নেতৃত্বাধীন কামাকুরা শাসনের প্রতি যোদ্ধাদের মধ্যে অসন্তোষ বৃদ্ধি পায়। এই অসন্তোষের মূল কারণ ছিল, হোজোদের অন্যান্য যোদ্ধা পরিবারগুলোর ওপর ক্রমবর্ধমান আধিপত্য বিস্তার। বিশেষ করে হোজো তোকিমুনের (১২৬৮–১২৮৪) শাসনকালে মঙ্গোল সংকটের সময় এই কেন্দ্রীয়করণ আরও প্রকট হয়। সে সময়ে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটে: হোজো পরিবারে রাজ্য পরিষদে নিয়োগ বৃদ্ধি পায়; হোজোদের ব্যক্তিগত পারিবারিক পরিষদই প্রধান সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী সংস্থা হয়ে ওঠে; এবং হোজোর সরাসরি অধীনস্থ করদ রাজ্যগুলো ক্রমবর্ধমানভাবে শুগো (প্রাদেশিক গভর্নর) হিসেবে উন্নীত করা হয়। এর ফলে তারা কেবলমাত্র নিজেদের পরিবারের সদস্য ও সরাসরি অধীনস্ত করদ রাজ্যগুলোর অন্তর্ভুক্ত করার ফলে বৃহত্তর ভিত্তির সমর্থন হারায়। ১৩৩১ সালে হোজোর বিরুদ্ধে এক জোট গঠিত হলে তার শাসনব্যবস্থার পতন ঘটাতে মাত্র দুই বছর সময় লেগেছিল।
ত্রয়োদশ শতাব্দীর শেষের দিকে যোদ্ধাদের মধ্যে হোজো-নেতৃত্বাধীন কামাকুরা শাসনের প্রতি অসন্তোষ দেখা দেয়। এই বিরক্তি শাসনের মধ্যে অন্যান্য যোদ্ধা পরিবারের উপর হোজোর প্রভাবের কারণে ঘটেছিল। হোজো টোকিমুনের রাজত্বকালে (১২৬৮-১২৮৪ খ্রিষ্টাব্দ) ক্ষমতার এই কেন্দ্রীকরণের পেছনে মঙ্গোল আক্রমণ মূল কারণ ছিল। সঙ্কটের সময়, তিনটি জিনিস ঘটেছিল: হোজো পরিবারের কাউন্সিল অফ স্টেটে নিয়োগ বেড়েছে; হোজো প্রাইভেট ফ্যামিলি কাউন্সিল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী সংস্থা হয়ে ওঠে। হোজোর সরাসরি শুগো পোস্টে উন্নীত হয়েছিল। তারা মূলত সমর্থনের বিস্তৃত ভিত্তির ব্যয়ে কেবল হোজো পরিবারের সদস্য এবং সরাসরি অন্তর্ভুক্ত করে তাদের নির্বাচনী এলাকাগুলোকে সংকীর্ণ করেছিল। ১৩৩১ সালে যখন হোজোর বিরুদ্ধে একটি জোট গঠিত হয়,
তখন কৃষিভিত্তিক সমাজে সম্পদের মূল উৎস ছিল জমি, এবং মধ্যযুগীয় জাপানেও এর ব্যতিক্রম ছিল না। প্রকৃতপক্ষে, যোদ্ধা শ্রেণির মধ্যে বেশিরভাগ অসন্তোষের মূল কারণ ছিল জমি। মিনামোতো গোষ্ঠীর উত্থানের পর থেকে যুদ্ধজয়ের পুরস্কার হিসেবে ভূমি দান ছিল যোদ্ধাদের জন্য একটি স্বীকৃত প্রথা। কিন্তু মঙ্গোল আক্রমণ ছিল ব্যতিক্রম, কারণ এটি বিদেশী শত্রুর বিরুদ্ধে দেশরক্ষার যুদ্ধ ছিল, অন্য কোনও যোদ্ধা গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে নয়। ফলে বিদেশী শত্রুর পরাজয়ের পরে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার হিসেবে তুলে দেওয়ার মতো কোনও জমি ছিল না। এই পরিস্থিতি বিশেষভাবে কঠিন ছিল সেই যোদ্ধাদের জন্য, যারা বীরত্বের সাথে যুদ্ধ করেছিল এবং জমির জন্য হোজো শাসকদের কাছে আবেদন করেছিল। চতুর্দশ শতাব্দীর শুরুতেই এই অসন্তোষ নতুন যে কোনও শাসন ব্যবস্থার ওপর প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি করেছিল। এই শ্রেণিকে সন্তুষ্ট না করতে পারলে নতুন শাসনের স্থায়িত্ব ছিল অনিশ্চিত।
নানবোকু-চো যুদ্ধ ছিল একটি মতাদর্শগত লড়াই—একদিকে ছিল যারা সম্রাটের পুনঃস্থাপন চেয়েছিল, অন্যদিকে ছিল যারা কামাকুরা শাসনের আদলে একটি নতুন যোদ্ধা শাসন প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিল। যেন জাপানের ইতিহাসের পূর্ববর্তী হেইয়ান ও কামাকুরা যুগের মধ্যে মতাদর্শগত সংঘর্ষ ঘটছিল। কিতাবাতাকে চিকাফুসার মতো অভিজাত যোদ্ধারা বুঝতে পারতেন যে পুনর্গঠনে যোদ্ধাদের অংশগ্রহণ প্রয়োজন, তবে মতাদর্শগত স্তরে তাকাউজির সঙ্গে তার তীব্র মতভেদ ছিল, যা ভবিষ্যতের নেতৃত্বেও প্রভাব ফেলেছিল। যুদ্ধের মধ্যেই তৈরি হয় নতুন মুরোমাচি শাসন, যা কেম্মু পুনর্গঠনের ব্যর্থতার সরাসরি ফলাফল ছিল।
== অনুগত সম্পর্ক ও মুরোমাচি বাকুফুর উত্থান ==
উভয় পক্ষের মধ্যে তীব্র লড়াই প্রায় ত্রিশ বছর ধরে চলে। এর পর নতুন যোদ্ধা শাসনের সমর্থকরা আধিপত্য লাভ করে। আশিকাগা তাকাউজি ক্ষমতা কেন্দ্রীকরণের জন্য তিনটি মূল নীতি অনুসরণ করেন:
১. হানজেই বা অর্ধেক কর নীতি, যা জমিদার জমি ভাগ করে দেয়;
২. সামুরাই অনুগতদের (গোকেনিন) সঙ্গে অনুগত্য সম্পর্ক;
৩. শুগো প্রভুদের বাকুফু গভর্নর ও প্রাদেশিক সামন্ত হিসেবে ব্যবহার (এটি পরে বিস্তারিতভাবে আলোচিত)।
এই দুই কাঠামো—সামুরাই অনুগত্য ও শুগো নিয়ন্ত্রণ ১৩৫০-এর দশকে শাসন প্রতিষ্ঠার পর গড়ে ওঠে এবং শোগুনের ক্ষমতা নির্ধারণে মুখ্য ভূমিকা রাখে। প্রশাসনিক কাঠামোগুলো বোঝা কঠিন, কারণ কানো বিশৃঙ্খলার পর প্রাথমিক প্রশাসনে ব্যাপক পরিবর্তন আসে। এগুলোর অধিকাংশই কিয়োতো ও ইয়ামাশিরো প্রদেশেই সীমাবদ্ধ ছিল।
=== কামাকুরা থেকে মুরোমাচি পর্যন্ত জমিদারি (শোয়েন) ব্যবস্থার বিবর্তন ===
হানজেই অর্ধ কর নীতিটি সরাসরি ও তীব্র: এটি এস্টেট জমিতে সামুরাই আক্রমণের বৈধতা স্বীকৃতি দেওয়ার একটি কঠোর নীতি ছিল। কিন্তু একই সঙ্গে এস্টেট বা জমিদারি ব্যবস্থার অস্তিত্ব রক্ষা করার নিশ্চয়তা দিয়েছিল।
এস্টেট সিস্টেম কীভাবে পরিবর্তিত হয়েছিল তা পরীক্ষা করার জন্য আমাদের প্রথমে কামাকুরা আমলের দিকে তাকাতে হবে। সামুরাই স্টুয়ার্ড (জিতো) এবং কামাকুরা শাসনের (১১৮৫-১৩৩৩ খ্রিষ্টাব্দ) মধ্যে করদ সম্পর্ক মধ্যস্থতাকারী ছিল। কারণ তারা সামুরাই স্টুয়ার্ডকে (জিতো) এমন একটি অবস্থানে রেখেছিল যেখানে তিনি একই সাথে কামাকুরা এবং কিয়োটো উভয়ের কাছেই জবাবদিহি করেছিলেন। সামুরাই হিসাবে নির্বাচিত হয়ে তাকে একটি কল্পিত আত্মীয়তার বন্ধনে তার বাড়ির সদস্য হিসাবে শোগুনের সাথে সরাসরি করদ সম্পর্কের মধ্যে রাখা হয়েছিল। স্টুয়ার্ড হিসাবে সামুরাই একজন শোগুনাল হাউসম্যান (গোকেনিন) এবং বিশ্বস্ত করদ রাজা হয়েছিলেন। তিনি এমন একটি এস্টেটের পরিচালনার ভার পেয়েছিলেন, যা আইনত কিয়োটোতে একজন আভিজাত্যের মালিকানাধীন ছিল (ভার্লি ১৯৬৭: ২২-৫)। এখানেই কামাকুরা করদ সম্পর্কের মধ্যস্থতাকারী প্রকৃতি রয়েছে। কামাকুরায় যোদ্ধা শাসনের সামন্ত হিসাবে তিনি সামরিক পরিষেবা এবং বকেয়া আকারে শোগুনের কাছে জবাবদিহি করেছিলেন। তবে একজন অভিজাতের মালিকানাধীন এস্টেটের পরিচালক হিসাবে তাকে পরবর্তীকালে খাজনা দিতে হয়েছিল। আমরা প্রথমে কামাকুরা করদ রাজ্য হিসাবে সামুরাই স্টুয়ার্ডের প্রকৃতি পরীক্ষা করব এবং তারপরে আশিকাগা তাকাউজির অধীনে উদ্ভূত করদ বন্ধনগুলো পরীক্ষা করব।
কামাকুরা শাসন ব্যবস্থার স্থায়িত্ব শাসকদের প্রভাবশালী যোদ্ধাদের পরিচালনার অধিকার (জিতো শিকি) এবং অভিজাত মালিকের খাজনা ও জমির মালিকানার অধিকারের গ্যারান্টির উপর নির্ভর করেছিল। সামুরাই স্টুয়ার্ডদের সাথে করদ সম্পর্কের মাধ্যমে, নতুন যোদ্ধা শাসনকে পুরানো এস্টেট সিস্টেমে স্থাপন করা হয়েছিল। প্রক্রিয়াটিতে আপস্টার্ট যোদ্ধা এবং অভিজাতদের মধ্যে সুপ্ত থাকা দ্বন্দ্বমূলক প্রবণতাগুলোর সেতুবন্ধন সৃষ্টি করেছিল।
যেসব সামুরাই স্টুয়ার্ডদের শোগুন বা হোজো রিজেন্টদের সাথে সরাসরি করদ সম্পর্ক ছিল, তারা হাউজকিপার (গোকেনিন) নামেও পরিচিত ছিল। কামাকুরা গোকেনিনর ঐতিহ্য একটি মর্যাদাপূর্ণ ঐতিহ্য ছিল এবং মুরোমাচি যুগে যা ঘটেছিল তার নজির স্থাপন করেছিল। ইয়োরিতোমো এবং হোজো রিজেন্টরা কেবল তাদের নিজস্ব গৃহকর্মীদের নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে উদ্বিগ্ন ছিল, সচেতনভাবে তাদের নিজস্ব করদ রাজ্যগুলোর জমি বিরোধের মামলা শোনার মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল এবং তাদের অনুসারীদের স্টুয়ার্ডশিপ অধিকারকে পুরস্কৃত করেছিল, অন্যান্য গোষ্ঠীর অন্যান্য বিরোধগুলো নাগরিক প্রশাসন দ্বারা যত্ন নেওয়া যেতে দেয়। এই নজিরটি আশিকাগা শোগুনরা অনুসরণ করেছিল কারণ তারা মুরোমাচি আমলে শুগো প্রভুদের আক্রমণের বিরুদ্ধে তাদের দেশের করদ রাজ্যগুলোর স্বার্থ রক্ষার চেষ্টা করেছিল।
শুগোকে কেবল প্রদেশগুলোর প্রভু হিসাবে আরও ক্ষমতা দেওয়া হয়নি। তাকাউজি এস্টেট জমি বিভক্ত করার জন্য যে অর্ধ কর নীতি (হানজেই) ব্যবহার করেছিলেন তা সামুরাই যোদ্ধাদের মালিকানাধীন জায়গীরের সংখ্যা বহুগুণ বাড়িয়ে তুলেছিল। তবে, তাকাউজি আরও এগিয়ে যেতে পারতেন যদি তিনি তাঁর বিশ্বস্ত জেনারেলদের পরামর্শ অনুসরণ করতেন। কো ভাইয়েরা সম্পত্তি পুরোপুরি সরিয়ে দিতে চেয়েছিলেন। এস্টেট সিস্টেমের পুনর্বিন্যাসে যোদ্ধাদের স্বার্থ প্রাধান্য পেয়েছিল। তবে মহৎ স্বার্থ এখনও সংরক্ষিত ছিল। এস্টেট সিস্টেম সংরক্ষণে সহায়তা করার ক্ষেত্রে, অর্ধেক করের পরিমাপ এমন একটি নীতি ছিল যা এখনও যোদ্ধার অধিকারের সাথে আভিজাত্যের অধিকারকে সংযুক্ত করতে সক্ষম হয়েছিল।
অর্ধ কর নীতি যুদ্ধের সময় সংগৃহীত সামরিক রেশন (হায়রোরিয়োশো) এর জন্য মনোনীত জরুরি কর হিসাবে শুরু হয়েছিল: মিনো, ওমি এবং ওওয়ারি প্রদেশের নির্দিষ্ট মন্দির, মাজার এবং এস্টেট জমি থেকে অর্ধেক আয় মুরোমাচি শাসনের সেনাবাহিনীকে সমর্থন করার জন্য নেওয়া হবে। ক্রমবর্ধমানভাবে, এটি পুনরায় ব্যাখ্যা করা হয়েছিল এবং তাকাউজি দ্বারা করদ রাজ্যগুলোর প্রয়োগের উদ্দেশ্যে অর্ধেক জমির স্থায়ী অধিগ্রহণ হিসাবে পরিবর্তন করা হয়েছিল। এটি ছিল পূর্ববর্তী অনুশীলন থেকে আমূল প্রস্থান। উপরে উল্লিখিত হিসাবে, কামাকুরা আমলে, বেশিরভাগ জমি, বিশেষত হোনশুর কেন্দ্রীয় ও পশ্চিম প্রদেশগুলোতে, অভিজাতদের মালিকানাধীন ছিল। তবে কামাকুরা হাউস করদ রাজ্যগুলোর দ্বারা স্টুয়ার্ডশিপ (জিতো শিকি) হিসাবে পরিচালিত হয়েছিল। এটি এস্টেট প্রতিষ্ঠানে একত্রে অভিজাতদের স্বার্থ এবং যোদ্ধাদের স্বার্থ উভয়কেই একত্রিত করেছিল। অর্ধ কর ব্যবস্থার আবির্ভাবের সাথে সাথে তাকাউজি সম্পত্তির অর্ধেক জমি মহৎ নিয়ন্ত্রণ থেকে সরিয়ে তার যোদ্ধাদের জায়গীরে দিচ্ছিলেন।
=== স্থানীয় সামুরাই (কোকুজিন) এর উত্থান ===
নানবোকু-চো দ্বন্দ্ব শুরু হলে করদ সম্পর্ক আরও গুরুতর হয়ে ওঠে। সামন্তদের আনুগত্য একটি বড় বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তুলনামূলকভাবে শান্তিপূর্ণ কামাকুরা সময়কালে, সামরিক দক্ষতাগুলো প্রিমিয়ামে রাখা হয়নি। তবে গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পরে এই মানদণ্ডটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে (ভর ১৯৮৯: ১১৩-৪,১১৭)। ১৩৩৬ পরবর্তী পরিবেশের করদ সম্পর্কগুলোতে একটি নতুন মধ্যস্থতাকারী বিবেচনা উদ্ভূত হয়েছিল: আনুগত্যের প্রয়োজন এবং প্রভু এবং করদ রাজ্যের মধ্যে একটি শক্ত বন্ধন। প্রতিদ্বন্দ্বীদের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তার ফলস্বরূপ শোগুন এবং তার করদ রাজ্যগুলোর মধ্যে দৃঢ় সম্পর্ক আবির্ভূত হয়েছিল। করদ সম্পর্ক হয় আশিকাগা দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল বা আশিকাগার প্রতি অনুগত উদীয়মান শুগো প্রভুদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত অন্য যোদ্ধা শ্রেণিবিন্যাসের কাছে সম্ভাব্য যোদ্ধা হারানোর ঝুঁকি ছিল এবং সবচেয়ে খারাপ প্রতিদ্বন্দ্বী সাম্রাজ্যবাদী জেনারেলদের দ্বারা। সুতরাং, সত্যিকার অর্থে, গৃহযুদ্ধের সময়কালে যোদ্ধা নিয়োগের মাধ্যমে সম্ভাব্য দ্বন্দ্ব দূর করতে করদ বন্ধন ব্যবহার করা হয়েছিল।
একই সময়ে সামুরাই এবং শোগুনের মধ্যে করদ বন্ধন শক্ত হয়েছিল, এই সম্পর্কগুলোর বৈধতা কঠোরভাবে পরীক্ষা করা হয়েছিল। এই আপাত বৈপরীত্যটি যৌক্তিকভাবে সামুরাই আনুগত্যের অনেক দাবির অস্তিত্ব দ্বারা ব্যাখ্যা করা হয়েছে যা উপস্থাপিত হয়েছিল: প্রতিদ্বন্দ্বী সাম্রাজ্যবাদী জেনারেল, শুগো প্রভু এবং এমনকি স্থানীয় সামুরাই জোটের প্রতি।
কয়েকটি উদাহরণ শোগুন আশিকাগা তাকাউজি এবং তার নতুন গৃহকর্মীদের মধ্যে করদ সম্পর্কের উত্থানকে চিত্রিত করবে। ১৩৩৬ সালে তাকাউজি কিউশুতে পশ্চাদপসরণ করার পরে আকি প্রদেশে আশিকাগা স্বার্থ রক্ষার দায়িত্ব পেলে কোবায়াকাওয়া পরিবার অনুগত করদ রাজ্য হয়ে ওঠে (আর্নেসেন ১৯৮৫: ১০৮)। আরেকটি আকি সামুরাই পরিবার মোরি বংশ, ১৩৩৬ সালে তাকাউজির করদ রাজ্য হয়ে ওঠে এবং কানো ঘটনার প্রাদুর্ভাব না হওয়া পর্যন্ত কো মোরোয়াসুর অধীনে দায়িত্ব পালন করে। ১৩৫০ এর দশকে মোরি তাকাউজি তাদায়োশি এবং তার দত্তক পুত্র তাদাফুয়ুর শত্রুদের পক্ষে ছিল এবং ১৩৬০ এর দশক পর্যন্ত তারা আবার শোগুনের করদ রাজ্য হিসাবে ফিরে আসেনি (আর্নেসেন ১৯৮৫: ১১৪-৫)। কাওয়াশিমা বংশ এবং কিয়োটোর নিকটবর্তী অন্যান্য যোদ্ধা পরিবারগুলোর সাথে করদ সম্পর্ক ১৩৩৬ সালের গ্রীষ্মে তাকাউজি রাজধানী পুনরায় দখলের অভিযানে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তাকাউজির স্বাক্ষর বহনকারী করদের শর্তাদি সম্পর্কিত একটি নথির কারণে কাওয়াশিমা মামলাটি যথেষ্ট আগ্রহের বিষয়: তারা কাওয়াশিমা এস্টেটের অর্ধেকেরও বেশি স্টুয়ার্ডশিপ অধিকারের (জিতো শিকি) জন্য সামরিক পরিষেবা বিনিময় করবে, বাকি অর্ধেকটি ভাড়া আকারে অভিজাত মালিকের দখলে রেখে দেবে।
=== কানো ঘটনা এবং ১৩৫০ এর দশকে দক্ষিণ দরবারের পুনরুত্থান ===
=== ঘটনাবলী ===
তাকাউজি নামমাত্র শোগুন ছিলেন। তবে দশ বছরেরও বেশি সময় ধরে তাদায়োশি তার জায়গায় শাসন করেছিলেন। দুই ভাইয়ের মধ্যে সম্পর্ক অবশ্য কানো ঘটনা নামে একটি অত্যন্ত গুরুতর পর্বের দ্বারা ধ্বংস হওয়ার নিয়তি ছিল, এটি এমন একটি ঘটনা যা কান্নো যুগ (১৩৫০-১৩৫১) থেকে নামকরণ করা হয়েছে, যার সময় এটি ঘটেছিল এবং যার পুরো দেশের জন্য খুব গুরুতর পরিণতি হয়েছিল। দুজনের মধ্যে ঝামেলা শুরু হয়েছিল যখন তাকাউজি কো নো মোরোনাওকে তার শিটসুজি বা ডেপুটি বানিয়েছিলেন। তাদায়োশি মোরোনাওকে পছন্দ করতেন না এবং তাকে পরিত্রাণ দেওয়ার অন্য প্রতিটি প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়ে তাকে হত্যা করার চেষ্টা করেছিলেন। তার ষড়যন্ত্র আবিষ্কৃত হয়, তাই ১৩৪৯ সালে তাদায়োশি মোরোনাও সরকার ত্যাগ করতে, মাথা ন্যাড়া করতে এবং কেইশিন নামে বৌদ্ধ সন্ন্যাসী হতে বাধ্য হন। ১৩৫০ সালে তিনি বিদ্রোহ করেছিলেন এবং তার ভাইয়ের শত্রুদের সাথে যোগ দিয়েছিলেন, দক্ষিণ দরবারের সমর্থক, যার সম্রাট গো-মুরাকামি তাকে তার সমস্ত সৈন্যের জেনারেল নিযুক্ত করেছিলেন। ১৩৫১ সালে তিনি তাকাউজিকে পরাজিত করেন, কিয়োটো দখল করেন এবং কামাকুরায় প্রবেশ করেন। একই বছর তিনি মিকেজে (সেৎসু প্রদেশ) কো ভাইদের বন্দী ও মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেন। পরের বছর তার ভাগ্য ঘুরে যায় এবং তিনি সাত্তায়ামায় তাকাউজির কাছে পরাজিত হন। ভাইদের মধ্যে একটি পুনর্মিলন সংক্ষিপ্ত প্রমাণিত হয়েছিল। তাদায়োশি কামাকুরায় পালিয়ে যান, কিন্তু তাকাউজি সেখানে সেনাবাহিনী নিয়ে তাকে তাড়া করেন। ১৩৫২ সালের মার্চ মাসে, আপাতদৃষ্টিতে দ্বিতীয় পুনর্মিলনের অল্প সময়ের মধ্যেই, তাদায়োশি হঠাৎ মারা যান, তাইহেইকি অনুসারে বিষক্রিয়ায়।
=== পটভূমি ===
মুরোমাচি শাসনকে বিভক্ত করে এমন চরম বিভাজনকারী কান্নো ঘটনা একীকরণকে সাময়িকভাবে আটকে রেখেছিল। যেহেতু এই ঘটনাটি আমলাতান্ত্রিক অন্তর্দ্বন্দ্বের ফলস্বরূপ ঘটেছে, তাই প্রথমে আমলাতান্ত্রিক অঙ্গগুলোর দিকে নজর দেওয়া দরকার, তারপরে দ্বন্দ্বটি কোথায় উত্থিত হয়েছিল তা পরীক্ষা করা দরকার।
প্রাথমিক শাসনের আমলাতান্ত্রিক অঙ্গগুলো আশিকাগা ভাইদের পৃথক এখতিয়ারের অধীনে ছিল তাকাউজি এবং তাদায়োশি, একটি দ্বিখণ্ডিত প্রশাসন তৈরি করে। তাকাউজি হাউস করদ রাজ্যগুলোর নেতা ছিলেন এবং এভাবে বোর্ড অফ রিটেইনার্স (সামুরাই ডোকোরো) এবং পুরষ্কার অফিস (ওনশো-কাটা) নিয়ন্ত্রণ করেছিলেন, যখন তাদায়োশি শাসনের বিচারিক কার্যক্রমের উপর তদন্ত বোর্ড নিয়ন্ত্রণকারী আমলাতান্ত্রিক নেতা ছিলেন (সাতো ১৯৭৭: ৪৮; সাতো ১৯৭৭:৪৮)। গ্রসবার্গ ১৯৮১: ২১-২৪)।
রিটেইনার্স বোর্ড হাউস করদ রাজ্যগুলোর প্রতি শৃঙ্খলাবদ্ধ অঙ্গ হিসাবে ব্যবহৃত হয়েছিল: ব্রিগেন্ডেজ এবং অন্যান্য অপরাধের বিচার করা হয়েছিল (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ৮৮,১০৭)। পুরষ্কারের অফিসটি যোগ্য করদ রাজ্যগুলোর দাবি শুনতে এবং বন্দী করার জন্য ব্যবহৃত হয়েছিল। পুরষ্কারের অফিসটি নতুন যোদ্ধাদের তালিকাভুক্ত করতে ব্যবহৃত হয়েছিল যারা শাসনের সম্ভাব্য প্রতিপক্ষ ছিল। প্রধান বিচারিক অঙ্গ, কোডজুটরস বোর্ড, উত্তরাধিকারের সাথে জড়িত সমস্ত জমি বিরোধ মামলা এবং ঝগড়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ৮৮)। সমস্ত বিচারিক কাজগুলো একটি প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর মধ্যে আইনীভাবে দ্বন্দ্ব এবং বিরোধ নিষ্পত্তি করার জন্য ব্যবহৃত হয়। নতুন শাসনের জন্য আমলাদের (বুগিওনিন) পতনের আগে হোজো শাসনের দায়িত্ব পালনকারীদের পদমর্যাদা থেকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ৯০)। তারা মূল্যবান ছিল কারণ তারা পড়তে এবং লিখতে জানত, এমন একটি কাজ যা বেশিরভাগ যোদ্ধাদের নাগালের বাইরে।
১৩৫০ এর দশকে কানো ঘটনা এবং এর পরিণতি প্রাথমিক শাসনকে বিভক্ত এবং প্রায় ধ্বংস করে দিয়েছিল (সানসোম ১৯৬১: ৭৮-৯৫)। আপাতদৃষ্টিতে ঘটনাটি তাকাউজির ভাই আশিকাগা তাদায়োশির বিরুদ্ধে কো ভ্রাতৃদ্বয়, মোরোনাও এবং মোরোয়াসুর বিরুদ্ধে তাকাউজির সমর্থিত একটি উপদলীয় লড়াইয়ের মতো দেখায় (উইন্টারস্টিন ১৯৭৪: ২১৫; আর্নেসেন ১৯৭৯: ৫৩-৫৪)। দ্বন্দ্বটি এস্টেট সিস্টেম সম্পর্কে মতামতের পার্থক্য এবং এই ভিন্ন মতামতের পিছনে তাকাউজি এবং তাদায়োশি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত বিভিন্ন আমলাতন্ত্রের দিকে ইঙ্গিত করা যেতে পারে। সামগ্রিকভাবে তাকাউজি ছিলেন উদ্ভাবক এবং তাদায়োশি রক্ষণশীলতার ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন, অতীতের নীতিগুলো সংরক্ষণ করতে চেয়েছিলেন। করদ রাজ্য ব্যান্ডের সামরিক নেতা হিসাবে তাঁর ক্ষমতায়, তাকাউজি দুটি জিনিস করেছিলেন যা তাদায়োশির সাথে সাংঘর্ষিক ছিল: তিনি যুদ্ধক্ষেত্রের বীরত্বের পুরষ্কার হিসাবে শুগো পোস্টগুলোতে করদ রাজ্যগুলোর নিয়োগ করেছিলেন এবং তিনি শোয়েন এস্টেটগুলো ভাগ করে দিয়েছিলেন যার অর্ধেক তার করদ রাজ্যগুলোর ফিফ বা স্টুয়ার্ডশিপ হিসাবে দিয়েছিলেন। তাদায়োশি কেম্মু ফর্মুলারি খসড়া তৈরির মাধ্যমে এই নীতিগুলোর কঠোরভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন যা যুদ্ধক্ষেত্রের সেবার পুরষ্কার হিসাবে শুগোর নিয়োগের বিরোধিতা করেছিল। তিনি কোডজুটরস বোর্ডের নেতা হিসাবে তাঁর ক্ষমতায় এস্টেট জমিগুলোর যে কোনও ধরণের সরাসরি বিভাজনের বিরোধিতা করেছিলেন (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ২৩-৪)। তাকাউজি এবং তার ভাই তাদায়োশির নীতিগুলোর মধ্যে একটি স্পষ্ট বিভাজন ছিল।
দু'জন রাষ্ট্রপ্রধান থাকার ফলে দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছিল যাদের নীতিগুলো একে অপরের সাথে সাংঘর্ষিক। এই ঘটনার পরের ঘটনাবলী সাক্ষ্য দেয় যে শাসকগোষ্ঠী কতটা সমর্থন হারাতে শুরু করেছিল। আশিকাগা পরিবারের সদস্যদের মধ্যে গভীর বিভাজন বিরোধীদের শক্তিশালী করেছিল। মুরোমাচি শাসনের উভয় স্তম্ভ, তাদায়োশি এবং তাকাউজি, তাদের নিজস্ব এজেন্ডা চাপিয়ে দেওয়ার জন্য দক্ষিণ দরবারে টোকেন জমা দিয়েছিলেন: তাদায়োশি কো ভাইদের ধ্বংস করার ইচ্ছায় এবং তাদায়োশিকে পরাজিত করার আকাঙ্ক্ষায় তাকাউজি। হাস্যকরভাবে, যদিও দক্ষিণ কোর্ট শত্রু ছিল, শাসক সদস্যরা একে অপরকে আক্রমণ করার ন্যায্যতা হিসাবে এটি ব্যবহার করেছিল।
=== প্রভাব ===
এই ঘটনার অন্যতম প্রধান প্রভাব ছিল দক্ষিণ দরবারের যুদ্ধের প্রচেষ্টাকে পুনরুজ্জীবিত করা। অনেকাংশে এই নতুন আক্রমণাত্মক মুরোমাচি শাসনের টার্নকোটদের দ্বারা সম্ভব হয়েছিল। কামাকুরায় তাকাউজির বিরুদ্ধে পরিচালিত ১৩৫২ সালের সাম্রাজ্যবাদী আক্রমণ তাদায়োশির প্রাক্তন অনুসারীদের বিপুল সংখ্যক দ্বারা সম্ভব হয়েছিল যারা সাম্রাজ্যবাদী নেতা নিত্তা যোশিমুনের সমর্থক হয়েছিলেন। ১৩৫৩ সালে কিয়োটোর বিরুদ্ধে সাম্রাজ্যবাদী আক্রমণ সম্ভব হয়েছিল শুগো প্রভু ইয়ামানা টোকিউজির দলত্যাগের মাধ্যমে। তাদায়োশির দত্তক পুত্র আশিকাগা তাদাফুয়ু ছিলেন দলত্যাগের অসামান্য উদাহরণ: ১৩৫৩ এবং ১৩৫৪ সালে কিয়োটোর বিরুদ্ধে সাম্রাজ্যবাদী আক্রমণের সময় তিনি দক্ষিণ দরবারের পশ্চিমা সেনাবাহিনীর নেতা হয়েছিলেন।
=== শুগো প্রভুদের উত্থান ===
এই যুগের উত্থান-পতন বুঝতে হলে আমাদের এখন শোগুন-শুগো প্রভু সম্পর্কের উদাহরণের দিকে ফিরে যেতে হবে। নানবোকু-চো যুগের বৈশিষ্ট্যযুক্ত প্রতিযোগিতামূলক আনুগত্য বিভিন্ন স্তরে খেলা হয়েছিল। একবারে আমরা মোরির মতো স্থানীয় সামুরাই পরিবারগুলোর দলত্যাগ দেখতে পাই - ভয়াবহ বিভাজনকারী কানো ঘটনার সময় অস্বাভাবিক নয়। উচ্চতর স্তরে, শুগো প্রভুরা চতুর্দশ শতাব্দীর শেষার্ধ পর্যন্ত বিপজ্জনকভাবে স্বাধীন পদ্ধতিতে কাজ চালিয়ে যান।
আশিকাগা শোগুন তাকাউজি পশ্চিম ও মধ্য জাপানের বিভিন্ন প্রদেশে শাখা পরিবারের সদস্যদের শুগো প্রভু হিসাবে নিয়োগ করেছিলেন। শুগো গভর্নর হিসাবে কাজ করেছিলেন এবং শাসন কেন্দ্র এবং পেরিফেরির মধ্যে মধ্যস্থতার দায়িত্ব পালন করেছিলেন। স্থানীয় গভর্নর এবং তাদের নিজস্ব অধিকারে প্রভু হিসাবে, তারা প্রদেশগুলোতে শাসনের কর্তৃত্বের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন। তারা প্রদেশব্যাপী নিয়োগের কারণে সামুরাই হাউসম্যানের চেয়ে অনেক বেশি কর্তৃত্ব অর্জন করেছিল, একক এস্টেটে সীমাবদ্ধ ছিল না। এখানে আমরা মুরোমাচি যুগের প্রথম দিকে আশিকাগা শোগুনের সাথে তাদের সম্পর্কের দিকে নজর দেব।
শুগো নিয়োগের সাফল্য আত্মীয়তার বন্ধনের দিকে নয়, বরং অন্যান্য কারণের মাধ্যমে তারা শাসনের সাথে কতটা ভালভাবে আবদ্ধ ছিল তার উপর নির্ভর করে। কামাকুরা আমল থেকে যোদ্ধা পরিবারগুলো মস্তকপদ অধিকার (সোরিও) ব্যবহার করে চিহ্নিত করা হয়েছিল,খানে শাখা পরিবারগুলোর উপর নেতৃত্ব দেওয়া হয়েছিল মূল পরিবারের নেত্রী. যাইহোক, মস্তকপদ অধিকারগুলো অত্যন্ত অস্থির ছিল কারণ শাখা পরিবারগুলো প্রায়শই তাদের নিজস্ব স্বাধীনতা দাবি করেছিল, বিশেষত নতুন প্রজন্ম আত্মীয়তার বন্ধনকে হ্রাস করার জন্য আবির্ভূত হয়েছিল (মাস ১৯৮৯: ১১৯)।
সেদিনের প্রয়োজনীয়তাগুলো শুগো পদে নিযুক্ত ব্যক্তিদের দ্বারা সামরিক দক্ষতার সফল ব্যবহারের আহ্বান জানিয়েছিল। আশিকাগা শোগুন এবং স্থানীয় সামুরাইয়ের মধ্যে করদ সম্পর্কের মতো, শোগুন এবং শুগো প্রভুদের মধ্যে বন্ধন একই অর্থে মধ্যস্থতাকারী ছিল: প্রতিযোগিতামূলক আনুগত্যের জগতে, আশিকাগা শোগুনরা শুগো পোস্টগুলোতে যোদ্ধাদের নিয়োগ দিয়ে এই পুরুষদের নিজের আরও কাছাকাছি বেঁধে রাখার চেষ্টা করেছিল। সফল জেনারেলরা, যারা একই সাথে শাখা পরিবারের প্রধান ছিলেন যারা তাকাউজির বিদ্রোহের সাথে তাদের ভাগ্যে নিক্ষেপ করেছিলেন, তারাই প্রায়শই এই পদে পুরস্কৃত হন (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ২৩)। তাদের শাসকগোষ্ঠীর সাথে বেঁধে না রাখার মূল্য ছিল তাদের সমর্থন হারানো, এবং শাসন থেকে তাদের স্বাধীনতাকে উত্সাহিত করা।
শুগো পদে নিযুক্ত আশিকাগা শাখা পরিবারগুলোর মধ্যে হোসোকাওয়া, ইয়ামানা, ইমাগাওয়া, হাতাকেয়ামা, নিকি, কিরা, শিবা, ইশিদো এবং ইশিকি পরিবার অন্তর্ভুক্ত ছিল (পাপিনোট ১৯৭২: ২৭)। নির্দিষ্ট প্রদেশগুলোতে, আশিকাগা মূল শুগো পরিবারগুলোকে স্থানচ্যুত করতে ব্যর্থ হয়েছিল: কেন্দ্রীয় প্রদেশগুলোতে সাসাকি, তোগাশি, তাকেদা এবং ওগাসাওয়ারা এবং কিউশুতে শিমাজু, ওটোমো এবং শোনি (আর্নেসেন ১৯৭৯: ৬০)। মধ্য ও পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশগুলোতে প্রায় অর্ধেক নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত। সময় কান্নো ঘটনা, নতুন নিয়োগপ্রাপ্তদের সাথে আশিকাগা হেডশিপ (সোরিও) সম্পর্ক এই শুগোকে শাসনের প্রতি সরাসরি বিদ্রোহ থেকে মোটেও আটকাতে পারেনি। প্রকৃতপক্ষে, শুগো প্রভুদের তুলনায় এই সময়কালে শাসনের জবরদস্তিমূলক প্রতিষ্ঠানগুলোর শোচনীয়ভাবে অভাব ছিল।
শুগো প্রভুরা যা খুশি তা করতে বাধা দিয়েছিল তা হলো নিয়োগের ক্ষীণ যোগসূত্র, বিশেষত নতুন নিয়োগপ্রাপ্তরা যারা তাকাউজির সাথে আবির্ভূত হয়েছিল - শাসনের সাথে তাদের সংযোগ বজায় রাখার জন্য তাদের একটি স্বার্থান্বেষী স্বার্থ ছিল, যতক্ষণ না তারা এখনও প্রদেশগুলোতে তাদের ক্ষমতা তৈরি করতে পারেনি। যে প্রাদেশিক পরিবারগুলো কামাকুরা আমলে ক্ষমতা অর্জন করেছিল, যেমন সুও এবং নাগাতো প্রদেশের ওচি এবং সাতসুমা প্রদেশের শিমাজু, তারা তাদের নিজস্ব অধিকারে প্রভু ছিল এবং এইভাবে, শাসন এবং তাদের শুগো উপাধির উপর কম নির্ভরশীল ছিল।
১৩৭২ এর পর শুগো প্রভুদের মুরোমাচি শাসনের জন্য কর (তানসেন) সংগ্রহের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। এই করগুলো অভিজাত থেকে শুরু করে সামুরাই পর্যন্ত জমির মালিকদের প্রতিটি শ্রেণীর উপর আঘাত করে। মধ্যস্থতাকারী হিসাবে, শুগো প্রতিটি পৃথক জমির মালিকের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় করের পরিমাণ বাড়িয়ে লাভ করেছিল (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ৭৫)। এই তারিখের মধ্যে, তারা গভর্নর হিসাবে অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছিল এবং তাই তাদের একটি নতুন শাসন কেন্দ্রিক কর তদারকির অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।
=== শুগো সিভিল ফাংশন এবং শুগো উইকের ব্যবহার ===
যা ফোকাসে আসে তা হলো শুগো প্রভু দ্বারা সিভিল গভর্নরের অফিসের ধীরে ধীরে কিন্তু অবিচলিত দখল এবং সামন্ততান্ত্রিক বন্ধনকে কার্যকর করার জন্য এই অবস্থানের ব্যবহার। শুগো পূর্ববর্তী গভর্নরদের মতো তার ঐতিহ্যবাহী প্রশাসনিক দক্ষতার মাধ্যমে নয়, বরং নানবোকু-চো যুদ্ধের সময় এস্টেটের জমি দখলকারী সামুরাইয়ের সাথে করদের মধ্যস্থতাকারী সম্পর্কের মাধ্যমে এবং সরকারী জমিতে বসবাসকারী সামুরাইদের সাথে (কোকুগারিও) কার্যকর করতে সক্ষম হয়েছিল। শুগো প্রভুরা উভয়ই গভর্নর ছিলেন, মুরোমাচি শাসন কর্তৃক তাদের দেওয়া কিছু বৈধ দায়িত্ব ছিল এবং সামন্ত প্রভুরা সামন্তদের প্ররোচিত করার চেষ্টা করেছিলেন।
নানবোকু-চো যুদ্ধ অভিজাতদের প্রতি নির্দয় ছিল যাদের জমিগুলো পূর্ববর্তী সামুরাই স্টুয়ার্ডরা সরাসরি নিয়েছিল এবং অবৈধভাবে ব্যক্তিগত হোল্ডিংয়ে (চিগিও) রূপান্তরিত হয়েছিল। এই বৈপ্লবিক বিকাশ পরবর্তীকালে সংঘটিত এস্টেট ব্যবস্থার সম্পূর্ণ তরলকরণের অগ্রদূত ছিল। শুগো প্রভুরাও তাদের উপর সামুরাই চাপিয়ে তাদের নিয়ন্ত্রণাধীন প্রাক্তন এস্টেটগুলো জড়ো করে এই পুরো জমি দখলে অংশ নিয়েছিল (নাগাহারা ১৯৮২: ১২)। হাস্যকরভাবে, যুদ্ধের উচ্চতায় জমিতে সামুরাই দখলদারিত্ব দ্বারা সৃষ্ট এই আইনহীন পরিস্থিতি ক্ষুদ্র সামুরাই থেকে কোকুজিন পর্যন্ত সমস্ত জমিদার স্বার্থের জন্য সুরক্ষা সমস্যা সৃষ্টি করেছিল এবং স্থানীয় সামুরাইদের মধ্যে করদ আকারে শুগো প্রভুদের সাথে মধ্যস্থতাকারী সম্পর্ক অর্জনের জন্য আরও প্রেরণা সরবরাহ করেছিল। শুগোর সাথে নিজেকে বেঁধে রেখে, তারা প্রদেশের এমন এক ব্যক্তির সাথে নিজেকে মিত্রতা করতে সক্ষম হয়েছিল যিনি একরকম স্থানীয় সুরক্ষা সরবরাহ করতে পারেন।
শুগো লর্ড এবং কোকুজিনের মধ্যে করদ সম্পর্ক প্রায়শই এস্টেটগুলোতে শুগো চুক্তি (শুগো-উকে) নামে পরিচিত একটি ত্রিমুখী মধ্যস্থতাকারী টাই হয়: একজন অভিজাত মালিক রাজধানীতে বসবাসকারী মালিককে সরবরাহ করা গ্যারান্টিযুক্ত বছরের শেষের (নেঙ্গু) আয়ের বিনিময়ে শুগোকে তার এস্টেট পরিচালনার দায়িত্ব দিতেন। শুগো প্রভু তখন ম্যানেজার হিসাবে সেই এস্টেটগুলোতে করদ রাজ্য সামুরাই (হিকান) নিযুক্ত করেছিলেন (মিয়াগাওয়া ১৯৭৭: ৯২; মিয়াগাওয়া ১৯৭৭: ৯২)। নাগাহারা ১৯৮২: ১৪)। অনুমিতভাবে, শুগো চুক্তিগুলো শুগো প্রভু, সামুরাই কোকুজিন এবং আভিজাত্যের স্বার্থকে একত্রে বেঁধেছিল। তবে স্বার্থের সমতার ভিত্তিতে ছিল না। তারা সত্যই এস্টেটগুলোতে শুগো দখলের যন্ত্র ছিল। চুক্তির মধ্যস্থতাকারী প্রকৃতি সম্পর্কে কোনও সন্দেহ নেই। কারণ এটি তিনটি গোষ্ঠীর স্বার্থকে সংযুক্ত করেছিল। তবে এটি শুগো প্রভুর পক্ষে সবচেয়ে অনুকূল ছিল যিনি এই যন্ত্রটি স্থানীয় সামুরাই (কোকুজিন) এর সাথে করদের সম্পর্ক প্রসারিত করতে এবং একই সাথে আভিজাত্যের ব্যয়ে তার জমি বেস প্রসারিত করতে ব্যবহার করেছিলেন। শুগো চুক্তি (শুগো-উকে) ১৩৪০ এর দশকে আবির্ভূত হয়েছিল এবং ধীরে ধীরে ব্যাপক হয়ে ওঠে (উইন্টারস্টিন ১৯৭৪: ২১১)। এই চুক্তিটি কীভাবে পরিচালিত হয়েছিল তা দেখে, এটি স্পষ্ট যে এস্টেট সিস্টেম (শোয়েন) যোদ্ধাদের দ্বারা কতটা দখল করা হয়েছিল এবং তার পূর্ববর্তী জীবনের একটি কঙ্কালে পরিণত হয়েছিল। শুগো প্রভুরা সামরিক সেবার বিনিময়ে সামুরাইকে এস্টেটের পরিচালনা দিয়েছিলেন, কিন্তু আভিজাত্যকে এস্টেটের সমস্ত ক্ষমতা ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছিল, তিনি যেখানে থাকতেন সেখানে বছরের শেষের (নেঙ্গু) আয়ের অংশের জন্য অপেক্ষা করতে হ্রাস পেয়েছিলেন। অভিজাত তার নিজের আয়ের অংশের গ্যারান্টি দেওয়ার জন্য কর অধ্যক্ষ (নেঙ্গু দাইকান) নিয়োগ করেছিলেন। তবে তাকে নিয়োগের জন্য অত্যধিক পরিমাণ অর্থ প্রদান করতে হয়েছিল। কোকুজিন এবং শুগো প্রভু দ্বারা ইতিমধ্যে হ্রাস করা অভিজাত আয় আরও হ্রাস পেয়েছিল যখন ট্যাক্স ওভারসিয়ার তার অর্ধেক নিয়েছিল। মহৎ আয়ের এই হ্রাস শুগো এবং সামুরাই উভয়ের পক্ষ থেকে ধীরে ধীরে অর্থ প্রদান না করার ফলাফল ছিল; শেষ ব্যবস্থা হিসাবে, অভিজাতরা যোদ্ধাদের উপর চাপ দেওয়ার উপায় হিসাবে মহাজন (ডিওএসও) এবং আমলাদের (বুগিওনিন) ভাড়া করেছিল। তবে এই প্রতিকারটিও দাগযুক্ত ফলাফল তৈরি করেছিল কারণ ভাড়াটে হাতগুলো যোদ্ধাদের সাথে আলোচনা করতে হয়েছিল (নাগাহারা ১৯৮২: ১৬)।
=== শুগো এবং পাবলিক ল্যান্ডস (কোকুগারিও) ===
সম্প্রতি অবধি একটি বৃহত্তর অনুপস্থিত চিত্র হলো মুরোমাচি আমলে সরকারী জমিগুলোর ভাগ্য (কোকুগারিও) এবং তাদের উপর তাদের দখলদারিত্বে শুগো প্রভুদের ভূমিকা। হেইয়ান আমলে সরকারী জমি (কোকুগারিও) এস্টেটগুলোর ব্যক্তিগত জমি (শোয়েন) থেকে পৃথক ছিল। কারণ পরবর্তীকালে রাষ্ট্রীয় কর থেকে মুক্ত ছিল। বেসরকারী এস্টেটের উত্থানের আগে, একমাত্র ধরণের জমি ছিল পুরানো নাগরিক প্রশাসনের অধীনে রক্ষণাবেক্ষণ করা সরকারী জমি। হেইয়ান আমলে শোয়েন নামে পরিচিত বেসরকারী এস্টেটগুলোর উত্থানের সাথে সাথে সরকারী জমিগুলো কোনওভাবেই অদৃশ্য হয়ে যায়নি: বিশদভাবে, সরকারী জমিগুলো ব্যক্তিগত এস্টেট থেকে খুব কম আলাদা ছিল। দুটিরই মালিক ছিলেন অনুপস্থিত মালিকরা। তারা কেবল প্রশাসনের দিক থেকে পৃথক ছিল: বেসরকারী এস্টেটগুলো সরাসরি অভিজাত কর্মকর্তাদের দ্বারা পরিচালিত হত, অন্যদিকে, সরকারী জমিগুলো প্রাক্তনদের পক্ষে সিভিল গভর্নরদের (কোকুগা বা কোকুশি) দ্বারা পরিচালিত হত (আর্নেসেন ১৯৭৯: ৯৪)। কামাকুরা আমলে, সরকারী জমিগুলো বিভিন্ন জমির মালিকদের ব্যক্তিগত হোল্ডিং (চিগিও) হিসাবে মালিকানাধীন ছিল। এই জমির মালিকদের মধ্যে অভিজাত বাড়ি, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান এবং যোদ্ধা অন্তর্ভুক্ত ছিল। কান্তো এবং উত্তর-পূর্বের পুরো অঞ্চল যোদ্ধাদের দখলে ছিল এস্টেট ম্যানেজার হিসাবে নয়, ব্যক্তিগত হোল্ডিং হিসাবে (নাগাহারা ১৯৮২: ১৫): কান্টো প্রদেশগুলো কামাকুরা শাসনকে ব্যক্তিগত জমি (চিগিওকোকু) হিসাবে দেওয়া হয়েছিল। আশিকাগা শাসন এই জমিগুলো উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছিল এবং ভাগ্যক্রমে তাদের উপরে শুগো প্রভুদের রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল (আর্নেসেন ১৯৭৯: ৯৪)।
সিভিল গভর্নর অফিসের (কোকুশি) অন্যতম প্রধান কাজ ছিল প্রদেশগুলোতে ফৌজদারি বিচারের তদারকি এবং সরকারী জমির মধ্যে ব্যক্তিগত হোল্ডিংগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ (কোকুগারিও)। তবে কামাকুরা শাসনের আবির্ভাবের সাথে তার কার্যকারিতা পরিবর্তন হতে শুরু করে (হল ১৯৬৬: ২০২-০৩)। কামাকুরা কর্তৃক শুগো কনস্টেবল নিয়োগের সাথে সাথে প্রদেশগুলোর মধ্যে সমস্ত ফৌজদারি এখতিয়ার তার হাতে চলে যায়। তবে সিভিল গভর্নর (কোকুশি) সিভিল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (রিটসুরিও) মূল কর্মকর্তা হিসাবে রয়ে গেলেন, যিনি নিশ্চিত করেছিলেন যে ব্যক্তিগত হোল্ডিং থেকে ভাড়া কিয়োটো এবং ইয়ামাশিরো প্রদেশের অনুপস্থিত অভিজাত এবং ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে (জিশা হোনজো) পৌঁছেছে। তাঁর তত্ত্বাবধানে যোদ্ধাদের ব্যক্তিগত হোল্ডিংগুলো অন্তর্ভুক্ত ছিল না, সাধারণত কানটো এবং আরও উত্তরে কেন্দ্রীভূত ছিল।
নানবোকু-চো যুদ্ধের প্রাদুর্ভাবের সাথে সাথে নাগরিক প্রশাসন (ঋতসুরিও) দ্রুত ভেঙে পড়তে শুরু করে এবং শুগো প্রভুরা, যাদের কামাকুরা আমলে প্রাদেশিক শাসনে সামান্য ভূমিকা ছিল, তারা সিভিল গভর্নরের দায়িত্ব দখল করতে আবির্ভূত হয়েছিল। এটি প্রতিটি প্রদেশে তাত্ক্ষণিকভাবে ঘটেনি। তবে শুগো প্রভুরা সরকারী জমিতে সত্যিকারের গভর্নর না হওয়া পর্যন্ত কোনও বাধা ছাড়াই ঘটেছিল (কোকুগারিও)। তারা সরকারী জমির মধ্যে ব্যক্তিগত হোল্ডিংয়ের তদারকি করার সাথে সাথে তারা বিভিন্ন ধরণের জমির মালিকদের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করেছিল: অভিজাত, বিভিন্ন ধরণের সামুরাই (কোকুজিন, জিজামুরাই) এবং ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের সাথে। তারা এই জমিগুলোতে তাদের নিজস্ব অনুসারীদের চাপিয়ে দিয়েছিল এবং সামরিক সেবার বিনিময়ে বিদ্যমান সামুরাইয়ের জমিগুলো পুনরায় নিশ্চিত করেছিল এবং অনুমানযোগ্য ফলাফলের সাথে অভিজাতদের সাথে শুগো চুক্তি প্রতিষ্ঠা করেছিল (নাগাহারা ১৯৮২: ১৫)। এস্টেটগুলোতে স্থানীয় সামুরাই (কোকুজিন) এর সাথে করদ সম্পর্কের পাশাপাশি, সরকারী জমিতে করদ বন্ধন একটি মূল সংস্থান হয়ে ওঠে যা শুগো প্রভুদের শক্তি বাড়িয়ে তোলে।
তদুপরি, ১৩৪৬ সালে মুরোমাচি শাসনের উত্থানের দশ বছর পর শোগুন শুগোকে এস্টেটগুলোতে ফসল চুরির মামলাগুলো বিচার করার এবং সাম্রাজ্যবাদী বাহিনীর কাছ থেকে নেওয়া যোগ্য করদ রাজ্যগুলোর জমির অস্থায়ী নিয়োগ দেওয়ার অধিকার দিয়ে কর্তৃত্বকে বিকেন্দ্রীকরণ করেছিল (আর্নেসেন ১৯৭৯: ৬৫)। এটি তাৎপর্যপূর্ণ ছিল, যতক্ষণ না কামাকুরা এখতিয়ারের ঐতিহ্যবাহী অঞ্চলগুলো মুরোমাচি শাসন দ্বারা "ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল"। পূর্বে, ফসল চুরি বা জমি বরাদ্দের সমস্ত মামলা কঠোরভাবে কামাকুরা প্রশাসনের অধীনে ছিল। এছাড়াও, প্রায় এই সময়ে, সাম্রাজ্যবাদী শক্তি তাদের সবচেয়ে খারাপ পরাজয়ের সম্মুখীন হচ্ছিল, শত্রুদের জমি বাজেয়াপ্ত ও পুনর্নির্ধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দিচ্ছিল। শুগো প্রভুদের এই নতুন এখতিয়ার দেওয়ার মাধ্যমে এটি তাদের নির্ধারিত প্রদেশগুলোর গভর্নর হিসাবে তাদের অবস্থানকে আরও বাড়িয়ে তোলে।
=== বৈধতা এবং ক্ষমতার সীমাবদ্ধতা ===
এই দ্বৈত ক্ষমতায় শুগো প্রভুদের গভর্নর হিসাবে পরিচালিত জমির জন্য প্রদেশগুলোতে অন্যান্য জমি সামুরাইয়ের সাথে প্রতিযোগিতা করতে হয়েছিল। তবে ব্যক্তিগতভাবে মালিকানাধীন ছিল না। অভিজাত মালিকদের মতো, একক শুগো প্রভু বেশ কয়েকটি প্রদেশের বিস্তৃত অঞ্চলে জমির মালিক ছিলেন। তাঁর ক্ষমতা ষোড়শ শতাব্দীর আঞ্চলিক প্রভুদের (দাইমিও) মতো জমির ব্যক্তিগত মালিকানার উপর নির্মিত হয়নি। তবে করদের বন্ধনের মাধ্যমে স্থানীয় সামুরাইয়ের আনুগত্যের উপর নির্মিত হয়েছিল (মিয়াগাওয়া ১৯৭৭: ৯১-৯৩)। ষোড়শ শতাব্দীর আঞ্চলিক প্রভুদের দ্বারা অনেক বেশি জবরদস্তিমূলক সম্ভাবনা প্রয়োগ করা হয়েছিল। কারণ তাদের আশেপাশের জমিগুলোর মালিকানার উপর ভিত্তি করে তাদের করদের বন্ধন ছিল: মালিক হিসাবে তারা উপযুক্ত হিসাবে জমিটি ছেড়ে দিতে পারে, খুব বেশি ঝামেলা ছাড়াই অবাধ্য করদ রাজ্যগুলোর থেকে মুক্তি পেতে পারে। চতুর্দশ শতাব্দীতে, শুগো প্রভুরা অঞ্চলটির প্রদেশব্যাপী মালিকানা দাবি করতে পারেনি: প্রথমত, ব্যক্তিগত প্রাদেশিক মালিকানার ধারণাটি এখনও অনুন্নত ছিল; দ্বিতীয়ত, তারা কখনই প্রচুর পরিমাণে ব্যক্তিগত সম্পত্তি সংগ্রহ করেনি, বরং তাদের সামন্তদের দখল করার জন্য এস্টেট জমি এবং সরকারী জমির ঐতিহ্যবাহী কাঠামো ব্যবহারের উপর নির্ভর করেছিল। এটি চতুর্দশ শতাব্দীর কেন্দ্রীয় রহস্য: এস্টেট সিস্টেমের বিভাজন এবং বিলুপ্তি এবং নাগরিক প্রশাসনের অন্তর্ধান ব্যক্তিগত জমির বিস্তারের সাথে মিলে যায়। তবে এস্টেট সিস্টেমের বাহ্যিক কাঠামো (শোয়েন) এবং পাবলিক ল্যান্ডস সিস্টেম (কোকুগারিও), যদিও বিষয়বস্তু বিহীন, তবুও রয়ে গেছে (কিয়ারস্টেড ১৯৮৫: ৩১১-১৪)। বিভাজনের পরিপ্রেক্ষিতে, এটি ছিল শুগো করদের মধ্যস্থতাকারী সম্পর্ক এবং প্রাদেশিক গভর্নর হিসাবে শুগোর ভূমিকা। এটি কিছুটা হলেও ভিন্ন শক্তিকে সংহত করতে সহায়তা করেছিল।
যোদ্ধাদের হাতে যে অবক্ষয়ের শিকার হয়েছিল তার পরিপ্রেক্ষিতে এস্টেট ব্যবস্থা কীভাবে আদৌ বেঁচে ছিল তা আশ্চর্যের বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। উপরে বর্ণিত ক্ষয়িষ্ণু আকারে টিকে থাকার দুটি কারণ ছিল: এক, মুরোমাচি শাসনের অস্তিত্ব ছিল যা যোদ্ধা আক্রমণের মুখে ধারাবাহিকভাবে এস্টেট ব্যবস্থাকে সমর্থন করেছিল (নাগাহারা ১৯৮২: ১৬)। দ্বিতীয় বিভাগে বর্ণিত হিসাবে, আশিকাগা তাকাউজি নিশ্চিত করার চেষ্টা করেছিলেন যে অর্ধেক করের পরিমাপ দ্বারা যোদ্ধাদের উপর নির্ধারিত সীমা অতিক্রম করা হয়নি। তবে তিনি শুগো চুক্তির মতো ব্যবস্থাগুলো এড়াতে ব্যর্থ হয়েছিলেন যা সত্যই তার সম্পত্তি এবং এর আয়ের আভিজাত্যকে অস্বীকার করেছিল। অর্ধ করের পরিমাপ নিজেই সামুরাইয়ের হাতে সম্পত্তির সরাসরি দখল থেকে আভিজাত্যকে রক্ষা করেনি, এমনকি যদি পরবর্তীকালে অর্ধ কর আইন পূরণের জন্য একটি অংশ হস্তান্তর করার প্রয়োজন হয়। শেষ পর্যন্ত, মুরোমাচি প্রশাসনই নিশ্চিত করেছিল যে সামুরাইরা তাদের আয়ের অংশ অভিজাতদের প্রদান করে।
এস্টেট ব্যবস্থার টিকে থাকার পেছনে অন্য কারণটি অভিজাত শ্রেণীর বৈধতার সাথে সংযুক্ত ছিল। এস্টেটে বসবাসকারী কৃষকদের মধ্যে যোদ্ধাদের উত্থান জনপ্রিয় ছিল না। অভিজাতদের আরও কোমল হাত ছিল সেই হাতটিও লোকেরা শ্রদ্ধা করতে এসেছিল। জনগণের মধ্যে সরাসরি অবাধ্যতা ও বিদ্রোহ রোধ করা শুগো প্রভু এবং কোকুজিন উভয়ই এস্টেট কাঠামোর বাহ্যিক রূপকে সম্মান জানাতে আসার একটি কারণ ছিল। কৃষকদের চোখে তাদের শাসনকে বৈধ করার জন্য, যোদ্ধারা এস্টেট কাঠামোর কাঠামোর মধ্যে কাজ করেছিল, যদিও এই কাঠামোটি পুরোপুরি পরিবর্তিত হয়েছিল (নাগাহারা ১৯৮২: ১৬-৭)। একটি মামলা তৈরি করা যেতে পারে যে ইয়ামাশিরো প্রদেশের বাইরে এস্টেট ব্যবস্থা এমন পরিমাণে ক্ষয়প্রাপ্ত হয়েছিল, প্রদেশগুলোতে অভিজাতদের কোনও প্রভাব অবশিষ্ট ছিল না।
== আশিকাগা শক্তি একীকরণ: ১৩৬০-১৩৭০ ==
১৩৫৮ সালে তাকাউজির মৃত্যুর পর শোগুনতন্ত্র তার পুত্রের হাতে চলে যায় যোশিয়াকিরা। তাঁর নেতৃত্বে, এবং কানরেই হোসোকাওয়া ইয়োরিয়ুকির নেতৃত্বে, শাসনব্যবস্থা ১৩৬০ এবং ৭০ এর দশকে শুগো প্রভুদের সংহত করতে সফল হয়েছিল: আশিকাগার শুগো শাখা পরিবারগুলো সরকারী আমলাতন্ত্রের মধ্যে নিযুক্ত ছিল। আমি নিম্নলিখিত পয়েন্টগুলো কভার করব: ১) কানরেই কাউন্সিল সিস্টেমের উত্থান, এবং মধ্যস্থতাকারী যন্ত্র হিসাবে বোর্ড অফ রিটেইনার্স যা শুগো প্রভুদের শাসনের সাথে আরও দৃঢ়ভাবে আবদ্ধ করেছিল; ২) শোগুনাল আধিপত্যের আকারে একটি জবরদস্তিমূলক যন্ত্রের উত্থান যা ভ্রান্ত শুগো প্রভুদের শৃঙ্খলাবদ্ধ করতে ব্যবহৃত হয়েছিল এবং দক্ষিণ দরবারের বাহিনীর চূড়ান্ত পরাজয়; ৩) দরবারের র্যাংকিং সিস্টেমের ব্যবহার একটি মধ্যস্থতাকারী যন্ত্র হিসাবে যা শাসনকে রাজকীয় দরবারের সাথে আবদ্ধ করেছিল এবং এর সাথে সম্পর্কিত ১৩৬৮ সালের হানজেই অর্ধ-কর ডিক্রি এবং এর প্রভাব। ৪) কিউশু ও কানটো অঞ্চলে মুরোমাচি কর্তৃপক্ষের সীমাবদ্ধতা।
শাসনব্যবস্থাকে পুনর্গঠন করে কানো ঘটনার ক্ষত নিরাময়ের জন্য শোগুন যোশিয়াকিরার উপর ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। ১৩৬২ সালে তিনি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেছিলেন যা শুগো প্রভুদের শাসনের সাথে সংযুক্ত করেছিল: কানরেই কাউন্সিল সিস্টেম। এই ব্যবস্থাটি দুটি উপাদান নিয়ে গঠিত হয়েছিল, কানরেই অফিস এবং সিনিয়র করদ রাজ্য কাউন্সিল (জুশিন কাইগি) যার উপর কানরেই সভাপতিত্ব করেছিলেন। কানরেই কাউন্সিল ব্যবস্থায় সবচেয়ে শক্তিশালী শুগো পরিবারকে সরাসরি মধ্য ও পশ্চিম জাপান শাসনে অংশগ্রহণকারী হিসাবে জড়িত করা হয়েছিল। শোগুনের পাশাপাশি, কানরেই কাউন্সিল মুরোমাচি শাসনের হৃদয় গঠনের জন্য এমন পরিমাণে আবির্ভূত হয়েছিল, ইতিহাসবিদরা এই শাসনকে বাকুফু-শুগো সিস্টেম হিসাবে চিহ্নিত করতে এসেছেন (তনুমা ১৯৭৬: ১২; তানুমা ১৯৭৬: ১২)। হ্যারিংটন ১৯৮৫: ৬৭)।
=== কানরেই কাউন্সিল এবং প্রতিষ্ঠানের পুনর্গঠন ===
কানরেই কাউন্সিল ব্যবস্থা মধ্যস্থতাকারী ছিল। কারণ এটি আমলাতান্ত্রিক শাসনের সামরিক দিককে একত্রিত করেছিল। কান্নো ঘটনার সাথে উদ্ভূত দ্বন্দ্বটি তাকাউজি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত সামরিক করদ রাজ্য প্রতিষ্ঠান এবং তাদায়োশি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত আমলাতান্ত্রিক-বিচারিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে বিচ্ছেদ এবং সংঘর্ষের সাথে সম্পর্কিত। কানরেই কাউন্সিল ব্যবস্থার উত্থানের সাথে সাথে প্রশাসনের সামরিক পক্ষের প্রতিনিধিত্বকারী শুগো প্রভুরা নীতি সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় হিসাবে আমলাতন্ত্রের সাথে দৃঢ়ভাবে আবদ্ধ ছিলেন।
কানরেই অফিস নিজেই শোগুনের সাথে শুগো প্রভুদের স্বার্থকে একত্রিত করে মধ্যস্থতার একটি ভাল উদাহরণ। কানরেইয়ের কাজ ছিল সিনিয়র করদ রাজ্য কাউন্সিল (জুশিন কাইগি) এবং শোগুনের মধ্যে মুখপাত্র হিসাবে কাজ করা, দুজনের মধ্যে মধ্যস্থতা করা (কাওয়াই ১৯৭৭: ৭০)। কানরেইয়ের দৈনন্দিন ভিত্তিতে শাসনের আমলাতান্ত্রিক উপাদানগুলো দেখার, পরামর্শ করা এবং কাউন্সিল এবং আমলাতন্ত্রের কাছে শোগুনাল আদেশগুলো প্রেরণ করাও দায়িত্ব ছিল। কান্রেই ধারাবাহিকভাবে চার প্রজন্মের মধ্যে তাকাউজির সাথে সম্পর্কিত তিনটি শুগো পরিবারের বংশগত গোষ্ঠী থেকে নির্বাচিত হয়েছিল (পাপিনোট ১৯৭২: ২৭): হোসোকাওয়া, হাতাকিয়ামা এবং শিবা। তিনটি পরিবার পালাক্রমে পদটি পূরণ করেছিল। তারা শাসকদের সর্বোচ্চ পদমর্যাদার শুগো পরিবার ছিল এবং কানরেইয়ের পদটি এর সমর্থনে তাদের স্বার্থকে বেঁধে রাখতে সহায়তা করেছিল।
কানরেই কাউন্সিল ব্যবস্থার অন্য উপাদানটি ছিল সিনিয়র করদ রাজ্য কাউন্সিল (জুশিন কাইগি)। কানরেই কাউন্সিলের সভাগুলোর সভাপতিত্ব করেছিলেন, কাউন্সিলের সিদ্ধান্তগুলো শোগুনকে রিলে করেছিলেন এবং শোগুন থেকে কাউন্সিলে আদেশ প্রেরণ করেছিলেন। এই ব্যবস্থায়, কাউন্সিল এবং শোগুনের মধ্যে পরামর্শের মাধ্যমে শাসন নীতি প্রণয়ন করা হয়েছিল, যদিও চূড়ান্ত সিদ্ধান্তগুলো পরবর্তীকালে নেওয়া হয়েছিল (কাওয়াই ১৯৭৭: ৭০-৭১; কাওয়াই ১৯৭৭: ৭০-৭১)। সাতো ১৯৭৭: ৪৮)। শুরুতে, কাউন্সিলটি তিনটি শুগো পরিবারের প্রধানদের সমন্বয়ে গঠিত হয়েছিল যাদের কাছ থেকে কানরেই নিয়মিত নির্বাচিত হয়েছিল এবং শক্তিশালী শুগো পরিবারের আরও চারটি প্রধান: ইয়ামানা, ইশিকি, আকামাতসু এবং কিয়োগোকু (ভার্লি ১৯৬৭: ২৭-৯)। শেষোক্ত দুটি পরিবার আশিকাগা পরিবারের সাথে সম্পর্কিত ছিল না। পরবর্তী কয়েক দশক ধরে ওচি, সাসাকি এবং টোকি পরিবারগুলোর নিয়োগের সাথে সম্পর্কহীন শুগো পরিবারগুলোকে কাউন্সিলে অন্তর্ভুক্ত করার এই প্রবণতা অব্যাহত ছিল। এই প্রবণতাটি ইঙ্গিত দেয় যে শক্তিশালী শুগো পরিবারগুলো, আত্মীয়তা নির্বিশেষে, সিনিয়র করদ রাজ্য কাউন্সিলের মধ্যস্থতাকারী প্রকৃতির মাধ্যমে শাসনের সাথে আবদ্ধ ছিল: শুগো প্রভু এবং শোগুনের মধ্যে দ্বন্দ্ব এবং সম্ভাব্য স্বার্থের দ্বন্দ্বকে শুগো প্রভুদের কাউন্সিলের মধ্যে আলোচনায় তাদের মতামত জানাতে দিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়া হয়েছিল। বোর্ড অফ রিটেইনার্স (সামুরাইডোকোরো) চতুর্দশ শতাব্দীতে ইমাগাওয়া (যিনি একটু পরে কাউন্সিলের সদস্য হয়েছিলেন), হোসোকাওয়া, হাতাকেয়ামা, শিবা এবং টোকির মধ্যে থেকে নির্বাচিত একজন সিনিয়র করদ রাজ্য কাউন্সিল সদস্যেরও নেতৃত্বে ছিলেন। কিয়োটোর রাজধানীতে পুলিশ কার্যাবলী এবং ফৌজদারি বিচার সম্পাদনের উপর বোর্ড অফ রিটেইনারদের দায়িত্ব ছিল (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ৮৮,১০৭)। অফিসধারী স্বয়ংক্রিয়ভাবে জাপানের সবচেয়ে ধনী এবং সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ ইয়ামাশিরো প্রদেশের উপর শুগো হয়ে ওঠে এবং শাসনের সদর দফতর এবং কিয়োটো শহর রক্ষার দায়িত্ব ছিল (ভার্লি ১৯৬৭: ৫৭)। পঞ্চদশ শতাব্দীর শুরুতে, চারটি শুগো পরিবারের মধ্যে থেকে অনুচর বোর্ডের প্রধান বেছে নেওয়া হয়েছিল: ইয়ামানা, আকামাতসু, কিয়োগোকু এবং ইশিকি। রিটেইনার্স বোর্ড কানরেই কাউন্সিল সিস্টেম যা করেছিল তা করেছিল: এটি শুগো প্রভুদের স্বার্থকে শাসনের সাথে সংযুক্ত করেছিল এবং এর ফলে তাদের মধ্যে সম্ভাব্য দ্বন্দ্বের মধ্যস্থতা করেছিল। শাসকগোষ্ঠীর সম্ভাব্য সংঘাতের উৎস শুগো প্রভুরা শাসকগোষ্ঠীর একটি প্রতিষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী হয়ে ওঠায় মধ্যস্থতাকারী ছিল।
সিনিয়র করদ রাজ্য কাউন্সিল এবং রিটেইনার্স বোর্ডে শুগোর অংশগ্রহণ পুনর্নির্মিত শাসনব্যবস্থায় তাদের অংশগ্রহণের আরও দুটি বিশিষ্ট উদাহরণ ছিল। এই অংশগ্রহণের গুরুত্বকে অবমূল্যায়ন করা যায় না: এই মধ্যস্থতাকারী যন্ত্রগুলো ব্যবহারের মাধ্যমেই আশিকাগা শোগুনরা তাদের নির্দেশনায় রাষ্ট্রকে কেন্দ্রীভূত করতে সক্ষম হয়েছিল। যেমনটি আমরা বারবার দেখব, মুরোমাচি সমাজের সমস্ত স্তরে নিয়োগের ব্যবস্থা হিসাবে হেডশিপ বন্ধন (সোরিও) আকারে আত্মীয়তা বড় হয়ে উঠেছে: এখানেও, সর্বোচ্চ অবস্থানের শুগো প্রভুরা বেশিরভাগই আশিকাগার শাখা পরিবার ছিল। যাইহোক, এই আত্মীয়তার বন্ধনগুলো আধা-স্বাধীন শুগো প্রভু এবং শাসকদের মধ্যে মধ্যস্থতার পথে খুব কমই কাজ করেছিল। বরং কানরেই কাউন্সিল ব্যবস্থার মাধ্যমে শাসন পরিচালনায় শুগো প্রভুদের কার্যকর অংশগ্রহণ ছিল যা তাদের স্বার্থকে শাসনের সাথে আগের চেয়ে আরও দৃঢ়ভাবে আবদ্ধ করেছিল।
=== আশিকাগা এবং শুগো জোটের উসে ===
১৩৬২ সালে দেশের দুটি সবচেয়ে শক্তিশালী শুগো ঘর, ওউচি এবং ইয়ামানা, এই শর্তে আশিকাগা শাসনের কাছে আত্মসমর্পণ করেছিল যে শোগুন তাদের নিজ নিজ প্রদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবে না (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ২৫)। পরবর্তীকালে, ইয়ামানা, যারা আশিকাগার সাথে সম্পর্কিত ছিল এবং ওউচি, যারা সম্পর্কিত ছিল না, সরকারী বিষয়ে ক্রমবর্ধমান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে শুরু করে। যাইহোক, কয়েক দশকের মধ্যে, উভয় শুগো ঘর শোগুনের ক্রোধের জন্য যথেষ্ট শক্তিশালী হয়ে ওঠে।
১৩৬৬ সালে প্রথম কানরেই অফিসধারীর পিতা, শিবা টাকাতসুনে, যিনি তার তেরো বছর বয়সী ছেলের উপর আসল ক্ষমতা রেখেছিলেন এবং যিনি শিবা পরিবারের সদস্যদের মূল সরকারী অফিসগুলোতে বসানোর ইঞ্জিনিয়ার করেছিলেন, তার ক্রমবর্ধমান শক্তি এবং অহংকারের কারণে বিশ্বাসঘাতক হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছিল (তিনি কানরেই পদ গ্রহণ করে অবমাননা বোধ করেছিলেন, তাই তার পরিবর্তে তিনি তার ছেলেকে নিয়োগ দিয়েছিলেন)। একটি গুরুত্বপূর্ণ শুগো পরিবারের বিরুদ্ধে শক্তির প্রথম প্রদর্শনে, যোশিয়াকিরা ইয়ামানা, সাসাকি, যোশিমি এবং টোকি শুগো প্রভুদের এচিজেন প্রদেশের শিবা আক্রমণ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। শিবা পরাজিত হয়েছিল এবং এচিজেনে তাদের অঞ্চল পুনরায় বিতরণ করা হয়েছিল (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ৯২)। ১৩৬৭ সালে শিবা পরিবারকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর হোসোকাওয়া ইয়োরিয়ুকিকে কানরেই পদের উত্তরসূরি হিসাবে নামকরণ করা হয়েছিল: শোগুন যোশিয়াকিরার মৃত্যুর পর ইয়োরিয়ুকি তরুণ শোগুন যোশিমিতসুর সংখ্যালঘু থাকাকালীন শাসনকে আরও দৃঢ় ভিত্তির উপর স্থাপন করতে সক্ষম হন। ১৩৬৬ সালে তাদের নিজস্ব সহকর্মীদের একজনকে আক্রমণ করার জন্য শুগো প্রভুদের ব্যবহার, শুগো প্রভুদের তুলনায় শোগুনের ক্রমবর্ধমান কর্তৃত্ব এবং বয়সের সাথে বাড়তে থাকা জবরদস্তির একটি কার্যকর যন্ত্রের উত্থানের দিকে ইঙ্গিত করে। এখন পর্যন্ত, আমরা সত্যিকারের শৃঙ্খলাবদ্ধ ব্যবস্থার কার্যত অস্তিত্বহীনতা দেখেছি যা শোগুন তার শুগো প্রভুদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে পারে। শোগুন এবং শুগো প্রভুদের মধ্যে উদ্ভূত নতুন মধ্যস্থতাকারী যন্ত্রগুলোর সাথে একত্রে, শোগুন-শুগো জোটের মাধ্যমে এক শুগো প্রভুকে অন্যের বিরুদ্ধে দাঁড় করানোর নতুন জবরদস্তিমূলক যন্ত্রটি শোগুনের হাতকে শক্তিশালী করেছিল।
১৩৬২ সালে কিয়োটোর বিরুদ্ধে সর্বশেষ দক্ষিণ দরবারের আক্রমণ আশিকাগাকে রাজধানী থেকে সরে আসতে বাধ্য করেছিল। তবে পূর্ববর্তী অনেক প্রচেষ্টার মতো, সাম্রাজ্যবাদীদের শেষ পর্যন্ত কিছু অর্জন না করেই একটি বড় পাল্টা আক্রমণের মুখে পিছু হটতে হয়েছিল (সানসোম ১৯৬১: ১০৮)। ১৩৫০-এর দশকে সাম্রাজ্যবাদী সেনাবাহিনীর মধ্যে যে উচ্ছ্বাস ছিল তা ম্লান হয়ে গেছে। এই তারিখের পরে প্রতিরোধ বিক্ষিপ্ত এবং সম্পূর্ণ প্রতিরক্ষামূলক হয়ে ওঠে। অবশেষে ১৩৬৯ সালে সম্রাট গো-মুরাকামির মৃত্যুর এক বছর পর কট্টর সাম্রাজ্যবাদী জেনারেল কুসুনোকি মাসানোরি শাসকগোষ্ঠীর কাছে আত্মসমর্পণ করেন। তাঁর আত্মসমর্পণের ফলে কেন্দ্রীয় প্রদেশগুলোর প্রতি সাম্রাজ্যবাদী হুমকির অবসান ঘটে (সানসোম ১৯৬১: ১০৮)।
=== দরবারের কাছে বৈধতা চাওয়া ===
১৩৭০ সালে ইমাগাওয়া সাদায়ো (রিওশুন) দ্বারা নিযুক্ত করা হয়েছিল কানরেই ইয়োরিয়ুকি এবং সিনিয়র করদ রাজ্য কাউন্সিল কিউশুতে দক্ষিণ দরবারের প্রতিরোধের শেষ দুর্গটি নামিয়ে আনতে। বারো বছরের কঠোর অভিযানের পর সাম্রাজ্যবাদী প্রতিরোধ ১৩৮১ সালে কিকুচি পরিবারের পরাজয়ের সাথে ভেঙে পড়ে। ১৩৮৫ সালে শিমাজু উজিহিসার মৃত্যুর সাথে সাথে সর্বশেষ কিউশু প্রাদেশিক ডোমেন শাসনব্যবস্থার প্রতি তার আনুগত্য ঘোষণা করেছিল (সানসোম ১৯৬১: ১১২)। কিউশুর পতনের সাথে সাথে সমগ্র পশ্চিম জাপান আশিকাগা শাসনের শাসন ও প্রভাবের অধীনে আসে। তবে, অভিজাতদের উপর আশিকাগা শাসনকে বৈধতা দেওয়ার জন্য একা প্রচারণা অপর্যাপ্ত ছিল। ১৩৬৭ এর পর শোগুন যোশিমিতসুর সংখ্যালঘু সময়ে, কানরেই হোসোকাওয়া ইয়োরিয়ুকি অভিজাতদের চোখে শাসনকে বৈধতা দেওয়ার প্রয়াসে সক্রিয় হয়ে ওঠেন। তিনি বেশ কয়েকটি অত্যন্ত রক্ষণশীল পদক্ষেপের মাধ্যমে এটি করেছিলেন, কিয়োটোর অভিজাতদের মধ্যে প্রতিপত্তি অর্জন করেছিলেন। তিনি তরুণ শোগুনকে এতে অংশ নিয়ে একটি প্রাচীন দরবার র্যাংকিং সিস্টেম ব্যবহার করেছিলেন (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ২৬)। তিনি অতীতের যে কোনও যোদ্ধা নেতার চেয়ে দরবারের সাথে শাসকগোষ্ঠীকে আরও ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত করেছিলেন। এটি করার মাধ্যমে, তিনি শাসনকে রাজদরবারের কাছাকাছি বেঁধে রেখেছিলেন, যার ফলে নানবোকু-চো দ্বন্দ্বে ইন্ধন জুগিয়েছিল এমন মতাদর্শের কলঙ্ক মুছে ফেলা হয়েছিল: আশিকাগা তাকাউজিকে সাম্রাজ্যবাদী শক্তি পুনরুদ্ধারের বিরুদ্ধে লড়াই করা বিশ্বাসঘাতক হিসাবে দেখা হয়েছিল।
জাপানি সমাজের বিভিন্ন শ্রেণির মধ্যে এর জনপ্রিয়তার কারণে দরবার সমাজ এত দীর্ঘ সময় টিকে ছিল। এস্টেট স্তরে, কৃষকরা যোদ্ধাদের চেয়ে অভিজাতদের সাথে অনেক বেশি ঘনিষ্ঠ বোধ করেছিল। অভিজাতদের ক্ষয়িষ্ণু শক্তি সত্ত্বেও, তাদের প্রভাব তাদের প্রকৃত ক্ষমতার বাইরে চলে গিয়েছিল। কারণ তারা ঐতিহ্যের বৈধতা এবং সংস্কৃতির ক্যারিশমা ধারণ করেছিল যা যোদ্ধাদের ছিল না। এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই যে ইয়োরিয়ুকি তরুণ শোগুনকে দরবারের অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিল: এই অংশগ্রহণটি মধ্যস্থতাকারী ছিল, দরবারের র্যাংকিং সিস্টেমের সর্বোচ্চ সামরিক নেতাকে জড়িত করেছিল যা বেশ কয়েক শতাব্দী আগের, এবং এর ভিত্তি হিসাবে যোদ্ধাসহ প্রত্যেকের উপর সাম্রাজ্যবাদী ধারার প্রাধান্য ছিল, যাদের সম্রাটের কাছ থেকে উপাধি পেতে হয়েছিল। এই দরবারের র্যাংকিং রীতিতে অংশ নিয়ে, আশিকাগা শাসন পুরো সমাজকে একটি শক্তিশালী বার্তা পাঠাচ্ছিল: দরবার কর্তৃক প্রদত্ত বৈধতা এখনও বৈধ এবং এখনও গুরুত্বপূর্ণ (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ২০)। এই অংশগ্রহণ যোদ্ধা শাসন এবং দরবারের মধ্যে উত্তেজনা দূর করেছিল এবং যোদ্ধা শ্রেণির মধ্যে দরবারের সংস্কৃতি প্রচারের অনিচ্ছাকৃত প্রভাব ফেলেছিল, স্বাদের একটি সংমিশ্রণ তৈরি করেছিল যা চিরকালের জন্য জাপানি সংস্কৃতির এই সময়টিকে উজ্জ্বল উদ্ভাবনের এক হিসাবে চিহ্নিত করেছে। একদিক থেকে এই অংশগ্রহণ ছিল একটি অপ্রচলিততা যা বাস্তব জগৎ থেকে সরানো বলে মনে হয়েছিল,খানে যোদ্ধারা সরাসরি ক্ষমতা প্রয়োগ করত। তবে, বৈধতার প্রশ্নটি অগত্যা ক্ষমতার প্রত্যক্ষ অনুশীলনের সাথে আবদ্ধ নয়। বৈধতা মতাদর্শের সাথে আবদ্ধ, এবং অভিজাত আভিজাত্য শাসনের আদর্শিক ভিত্তি যোদ্ধাদের শাসনের চেয়ে ভাল ভিত্তি ছিল। একা শক্তি প্রয়োগ বৈধতা তৈরি করতে পারে না, এবং দরবারকে ঘিরে যে সাংস্কৃতিক পরিবেশ ছিল তা এখনও সামুরাই তরোয়ালের চেয়ে অনেক বেশি প্ররোচিত, অনেক বেশি মার্জিত ছিল। যোদ্ধারা নিজেরাই আভিজাত্যদের সংস্কৃতির প্রতি আকৃষ্ট হয়েছিল এবং উত্সাহের সাথে পরবর্তীকালের স্বাদগুলো অনুকরণ করেছিল যতক্ষণ না তারা এমন একটি সংশ্লেষণ তৈরি করতে সক্ষম হয়েছিল যা আগে যা ছিল তার বাইরে চলে গিয়েছিল যেমন জেন দ্বারা প্রভাবিত রক গার্ডেনের উত্থান অন্যান্য শিল্প ফর্মগুলোর মধ্যে যা আজ অবধি স্থায়ী প্রভাব ফেলেছে। এবং কেবল এই কারণেই, চতুর্দশ শতাব্দীর শেষ কয়েক দশক ধরে শোগুন এবং রাজদরবারের মধ্যে যে সংযোগ কার্যকর হয়েছিল, তা শোগুনের শক্তির বৈধতা প্রশস্ত করার প্রভাব ফেলেছিল।
দ্য কানরি ইয়োরিয়ুকি ১৩৬৮ সালে শেষ অর্ধ-কর ডিক্রি (হানজেই) জারি করেছিলেন। এই ডিক্রিটি একটি বিস্তৃত এবং সিদ্ধান্তমূলক মধ্যস্থতাকারী যন্ত্র ছিল যা শাসকদের সাথে মহৎ স্বার্থকে বেঁধে রাখার জন্য ব্যবহৃত হয়েছিল: এটি রাজকীয় পরিবারের মালিকানাধীন জমি, প্রধান মন্দিরগুলোর নিয়ন্ত্রণাধীন জমি এবং রাজকীয় রিজেন্টদের মালিকানাধীন জমি (ফুজিওয়ারা) নিষিদ্ধ করেছিল। ব্যতিক্রমগুলোর মধ্যে আভিজাত্য জমিগুলোও অন্তর্ভুক্ত ছিল যা পূর্ববর্তী শোগুন (সম্ভবত যোশিয়াকিরা?) দ্বারা সম্পূর্ণ শিরোনাম দেওয়া হয়েছিল এবং সামুরাই স্টুয়ার্ডস (জিটো) দ্বারা পরিচালিত এস্টেটগুলো (উইন্টারস্টিন ১৯৭৪: ২১৯-২০)। এই ডিক্রিটি দেশব্যাপী সমস্ত এস্টেটের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য ছিল এবং এর আসল গুরুত্ব ছিল এস্টেটগুলোতে আরও সামুরাই আক্রমণ রোধ করতে এবং ইতিমধ্যে সংঘটিত সামুরাই আক্রমণের মুখে অভিজাতদের স্বার্থ রক্ষার জন্য ব্যবহৃত শক্তিশালী ভাষা। পূর্ববর্তী অর্ধ-করের ডিক্রিগুলোর বিপরীতে, এটি রক্ষণশীল ছিল এবং এর লক্ষ্য ছিল অভিজাত জমিগুলোকে ন্যায়সঙ্গত করার পরিবর্তে বিভাজন থেকে রক্ষা করা।
১৩৬৮ অর্ধ-কর ডিক্রির সাথে, শাসনটি ১৩৫২ ডিক্রি থেকে অনেক দূরে এসেছিল। তবে ইতিমধ্যে সংঘটিত সামুরাই আক্রমণের বাস্তবতা বিপরীত করা যায়নি। এখানে, মতাদর্শগতভাবে প্রকাশ্যে যা বলা হয়েছিল তা প্রদেশগুলোতে প্রকৃতপক্ষে যা ঘটছিল তা থেকে বিচ্যুত হয়েছিল। যেমনটি আমরা উপরে দেখেছি, ১৩৬৮ ডিক্রি সত্ত্বেও এস্টেটগুলোতে সামুরাই এবং শুগো প্রভুদের আক্রমণ মারাত্মক ছিল। আর পঞ্চদশ শতাব্দীতে ভূমি দখলের এই প্রবণতা আরও প্রকট হতে থাকে। আমাকে অবশ্যই এই সিদ্ধান্তে উপনীত হতে হবে যে ১৩৬৮ ডিক্রিটি যোদ্ধাদের অব্যাহত যোদ্ধা টেকওভারের প্রমাণের কারণে এস্টেট এবং তাদের আয়ের উপর নিয়ন্ত্রণ নেওয়া থেকে বিরত রাখতে সামগ্রিকভাবে অকার্যকর ছিল। এক অর্থে, ১৩৬৮ সালের ডিক্রিটি একটি আদর্শিক দলিল ছিল যা শোগুন এবং রাজকীয় দরবারের মধ্যে প্রতিষ্ঠিত ঘনিষ্ঠ সংযোগগুলো অনুসরণ করে আভিজাত্যদের চোখে আশিকাগা শাসনকে বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। তদুপরি, আশিকাগা শোগুনরা ইচ্ছা থাকলেও এস্টেটগুলোর আয়ের উপর যোদ্ধাদের অব্যাহত আক্রমণ বন্ধ করতে সক্ষম ছিল না। যতই অকার্যকর হোক না কেন, ১৩৬৮ সালের ডিক্রি স্বীকৃত মহৎ স্বার্থ একটি যোদ্ধা শাসন দ্বারা মতাদর্শগতভাবে রক্ষা করা হয়েছিল এবং এই প্রক্রিয়ায় উভয়ের স্বার্থকে একত্রে আবদ্ধ করা হয়েছিল।
অবশেষে, ১৩৬০-এর দশকে আবির্ভূত মুরোমাচি শাসনের প্রত্যক্ষ শাসন ভৌগোলিকভাবে কান্তোতে অবস্থিত পূর্ববর্তী কামাকুরা শাসনের বিপরীতে পশ্চিম ও কেন্দ্রীয় প্রদেশগুলোতে সীমাবদ্ধ ছিল। বাইরে শুগো লর্ডস (তোজামা) আশিকাগার সাথে সম্পর্কিত নয় যেমন টেকেদা, চিবা, ইউকি, সাতাকে, ওয়ামা, উতসুনোমিয়া, শোনি, ওটোমো, আসো এবং শিমাজু পরিবারগুলো, যাদের সকলেই কানটো এবং কিউশু অঞ্চলে বা তার কাছাকাছি কেন্দ্রীভূত ছিল তারা কানরেই কাউন্সিল ব্যবস্থায় অংশ নেয়নি এবং শাসন থেকে আধা-স্বাধীন ছিল (ভার্লি ১৯৬৭: ২৯; ভার্লি ১৯৬৭: ২৯)। হল ১৯৬৬: ১৯৯)। কিয়োটো থেকে সহজে নিয়ন্ত্রিত হয়নি এমন অঞ্চলে তাদের প্রধান অবস্থানের কারণে আশিকাগা দ্বারা তাদের মৌনভাবে স্বীকৃত এবং শুগো উপাধি দেওয়া হয়েছিল (হ্যারিংটন ১৯৮৫: ৬৭)।
=== কিউশু ===
১৩৭০ সালে শুরু হওয়া কিউশু অভিযানের পর কিউশু ডেপুটি (তান্দাই) সেই দ্বীপে মুরোমাচি শাসনের প্রতিনিধি হন। ইমাগাওয়া সাদায়ো (রিওশুন) কার্যকরভাবে দক্ষিণ দরবারের বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযানের বিচার করেছিলেন এবং শিমাজু উজিহিসার বাহিনীর বিরুদ্ধে তার আক্রমণ চালিয়ে যান, প্রক্রিয়াটিতে স্থানীয় কিউশু কোকুজিনের সমর্থন অর্জন করেছিলেন (হ্যারিংটন ১৯৮৫: ৮৫-৬)। সাদায়োর মতো ডেপুটিরা তাদের নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে মুরোমাচির প্রতিনিধি ছিলেন, এমনকি যখন তারা স্থানীয় সামুরাইকে করদের পুরো ক্ষমতা অহংকার করেছিলেন। উদাহরণস্বরূপ, ১৩৭৭ সালে সাদায়ো এবং একষট্টি জন স্থানীয় সামুরাইয়ের সমন্বয়ে একটি সামুরাই জোট (ইক্কি) এর মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। চুক্তিতে শর্ত দেওয়া হয়েছিল, জোটের সদস্যদের মধ্যে সমস্ত বিরোধ কিউশু ডেপুটির কাছে নিয়ে যাওয়া হবে, যখন জোটের সদস্য এবং ডেপুটির মধ্যে বিরোধগুলো কিয়োটোর মুরোমাচি শাসনে নিয়ে যাওয়া হবে (হ্যারিংটন ১৯৮৫: ৮৭)। কিউশু ডেপুটি ছিলেন একজন মধ্যস্থতাকারী ব্যক্তিত্ব যিনি শাসকদের স্বার্থ এবং তার এখতিয়ারাধীন স্থানীয় অঞ্চলের স্বার্থকে একত্রিত করেছিলেন। স্বাধীনতার প্রলোভনের কারণে এটি একটি অনিশ্চিত অবস্থান ছিল। তবে যে কোনও কারণেই হোক না কেন, মুরোমাচি শাসন পুরো জাতির উপর তাদের সরাসরি নিয়ন্ত্রণ প্রসারিত করেনি এবং তাই জবরদস্তিমূলক ও মধ্যস্থতাকারী যন্ত্রের মাধ্যমে এই অঞ্চলের শুগো প্রভু এবং সামুরাইকে প্রভাবিত করার জন্য তাদের প্রতিনিধি হিসাবে কাজ করার জন্য কিউশু ডেপুটির মতো নিয়োগকারীদের উপর নির্ভর করতে এসেছিল।
=== কান্তো ===
চতুর্দশ শতাব্দীর শেষের দিকে, কানটো অঞ্চলটি শক্তিশালী যোদ্ধা পরিবারগুলোর দ্বারা আধিপত্য ছিল। এর মধ্যে উসুগিরা ছিল সবচেয়ে শক্তিশালী। তারা তাদের নিজস্ব স্বার্থ এগিয়ে নেওয়ার জন্য এই অঞ্চলের পরিবারগুলোর মধ্যে ছড়িয়ে পড়া লড়াইয়ের সুযোগ নিতে সক্ষম হয়েছিল। ১৩৬৮ সালে উৎসুনোমিয়া পরিবার মুরোমাচি শাসনের কামাকুরা সদর দফতরের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছিল। কারণ তারা উয়েসুগির কাছে তাদের শুগো পোস্ট হারিয়েছিল। উসুগি পরিবার তাদের এখতিয়ারের অধীনে শুগো পোস্ট সংগ্রহ করে এবং অন্যান্য পরিবারের ব্যয়ে কান্টো অঞ্চলে করদ রাজ্যগুলোর ঘিরে ফেলে তাদের প্রভাব প্রসারিত করতে সক্ষম হয়েছিল (হ্যারিংটন ১৯৮৫: ৮২-৩)। কেউ একটি তত্ত্ব এগিয়ে নিতে পারে যে কান্টো অঞ্চলটি কিয়োটো থেকে আধা-স্বাধীন হয়ে উঠেছে এবং উসুগি সমর্থনের কারণে মুরোমাচি শাসনের কামাকুরা সদর দফতর বিদ্যমান ছিল। উয়েসুগি পরিবার তাদের অনাকাঙ্ক্ষিত অবস্থানের কারণে কান্টো কানরেই পদে তাদের নিয়োগের মাধ্যমে মুরোমাচি সরকার কর্তৃক আইনত স্বীকৃত হয়েছিল।
মুরোমাচি শাসনের কামাকুরা সদর দফতর কিউশু ডেপুটি (তান্দাই) এর মতোই কাজ করেছিল: এটি আঞ্চলিক মধ্যস্থতাকারী অফিসে পরিণত হয়েছিল যার মাধ্যমে শাসনের আদেশ বহির্মুখী কানটো অঞ্চলে প্রেরণ করা হয়েছিল। উপরে দেখা বাস্তবে, কান্টো উসুগির মতো শক্তিশালী পরিবার দ্বারা আধিপত্য ছিল। ক্রমবর্ধমানভাবে, কামাকুরা সদর দফতর মুরোমাচি শাসন থেকে স্বাধীন হয়ে ওঠে এবং সমস্ত প্রয়োজনীয় উদ্দেশ্যে আঞ্চলিক বিরোধ, আঞ্চলিক কর আরোপের যত্ন নেয় এবং কিয়োটোর মুরোমাচি সরকারের ন্যূনতম উল্লেখ সহ কান্টোতে শুগো প্রভুদের সাথে সম্পর্ক গড়ে তোলে - যদিও জায়গীর নিশ্চিত করার অধিকার এবং শুগো নিয়োগ অনুমোদনের অধিকার প্রযুক্তিগতভাবে কিয়োটোর হাতে রয়ে গেছে (হ্যারিংটন ১৯৮৫: ৮৩-৫)।
=== আশিকাগা শক্তির কেন্দ্রীকরণ এবং নানবোকু-চো যুদ্ধের সমাপ্তি: ১৩৭৯–১৩৯৯ ===
১৩৬০-এর দশকের গুরুত্বপূর্ণ দশকে একের পর এক প্রতিরোধের ক্ষেত্র মুরোমাচি শাসনের হাতে পড়েছিল: স্পষ্টতই, ওচি এবং ইয়ামানার মতো শক্তিশালী শুগো প্রভুরা নিজেদেরকে আধা-স্বাধীন প্রভু হিসাবে জমা দিয়েছিলেন; সময় যত গড়িয়েছে ততই দক্ষিণ কোর্টের প্রতিরোধ আরও নিরর্থক হয়ে উঠেছে। সামরিকভাবে শাসনব্যবস্থা ১৩৬৬৬৬৬৬ সালে শুগো প্রভুদের তাদের নিজস্ব সহকর্মীদের একজনকে আক্রমণ করার আহ্বান জানাতে সক্ষম হয়েছিল, শোগুনাল নিয়ন্ত্রণে শুগোর ক্রমবর্ধমান অধীনতার দিকে ইঙ্গিত করে। কানরেই কাউন্সিল সিস্টেম তৈরি এবং বাকুফু আমলাতন্ত্রে শক্তিশালী শুগো পরিবারগুলোর ক্রমবর্ধমান অংশগ্রহণের সাথে হাত মিলিয়ে রাজকীয় দরবারের সাথে সম্পর্ক শাসনের বৈধ ভিত্তিকে আরও প্রশস্ত করেছিল। এই মূল বিকাশগুলো কেবল শোগুনাল নিয়ন্ত্রণ বাড়ানোর জন্যই নয়, শুগো প্রভু এবং অভিজাতদের স্বার্থকে শাসনের সাথে আরও ঘনিষ্ঠভাবে আবদ্ধ করার জন্য ব্যবহৃত হয়েছিল। [১৮] তবে, ভৌগোলিকভাবে, মুরোমাচি শাসনের পরিধি সীমিত ছিল, কানটো এবং কিউশু অঞ্চলের এখতিয়ার আঞ্চলিক প্রতিনিধিদের কাছে অর্পণ করে এবং হনশুর কেন্দ্রীয় ও পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশগুলোর উপর কমবেশি সরাসরি নিয়ন্ত্রণ রেখেছিল।
১৩৭৯ সালে যোশিমিতসুর কর্তৃত্ব গ্রহণের পঞ্চাশ বছর পর মুরোমাচি শাসন দেশের অপ্রতিদ্বন্দ্বী সরকার হিসাবে তার সবচেয়ে শক্তিশালী পর্যায়ে প্রবেশ করেছিল। শোগুনের নিয়ন্ত্রণ বাড়ার সাথে সাথে শোগুন এবং শুগো প্রভুদের মধ্যে সংযোগ আরও শক্ত হয়েছিল। প্রধান যন্ত্র এবং তাদের প্রভাবগুলো যা শোগুনকে শুগো প্রভুদের উপর নিয়ন্ত্রণ প্রয়োগ করতে এবং জড়িত শাসনের বৈধতার ভিত্তিকে প্রশস্ত করতে সক্ষম করেছিল: ১) মুরোমাচি শাসন এবং রাজকীয় দরবারের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের ধারাবাহিকতা; ২) শুগো প্রভুদের লক্ষ্য করে বাধ্যতামূলক আবাসিক নীতি; ৩) শোগুণাল আর্মির (গোবাঁশু) অধিকতর উন্নয়ন; ৪) বেশ কয়েকটি শুগো প্রভুর জোট ব্যবহার করে শোগুনাল আধিপত্যের উত্থান। ৫) শাসকগোষ্ঠী কর্তৃক বাণিজ্যিক ও কৃষি রাজস্ব এবং করের ব্যবহার। এই সমস্ত পরিবর্তনগুলো কেন্দ্রীভূত শক্তির অব্যাহত প্রবণতার উদাহরণ দেয় যা শাসনের শক্তি বৃদ্ধি করেছিল। আশিকাগা এবং সাম্রাজ্যীয় দরবার
অধীনে যোশিমিতসু (সক্রিয় ১৩৭৯–১৪০৮) যিনি ইয়োরিয়ুকিকে বরখাস্ত করার পরে ক্ষমতার লাগাম ধরেছিলেন কানরেই, এই বিশেষ সংযোগের প্রভাবগুলো জাপানি ইতিহাসের অন্যতম উজ্জ্বল সময়কে উত্সাহিত করেছিল, স্থাপত্য ও সাংস্কৃতিক ফর্মগুলোর পরিপক্কতার জন্য বিখ্যাত যা তখন থেকে জাপানি সংস্কৃতির বৈশিষ্ট্যযুক্ত। রাজদরবার এবং এর সংস্কৃতির সাথে তাঁর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক এবং নতুন শিল্পের প্রতি তাঁর পৃষ্ঠপোষকতা সামরিক অভিজাতদের কাছে বিশেষত শুগো প্রভুদের মাধ্যমে এই সংস্কৃতি ছড়িয়ে দিতে সহায়তা করেছিল (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ৩১-৩২; গ্রসবার্গ ১৯৮১: ৩১-৩২)। কাওয়াই ১৯৭৭: ৭২)। শোগুন এবং রাজকীয় দরবারের মধ্যে এই সংযোগ উভয় প্রতিষ্ঠানে অতিরিক্ত মর্যাদা এনেছিল এবং শোগুনকে নাগরিক বৈধতা এবং সংস্কৃতির আভা দিয়েছিল যা পূর্ববর্তী কামাকুরা শাসনের অভাব ছিল।
দরবারের প্রতিষ্ঠানগুলোতে অংশ নিয়ে, শোগুন দরবারের সংস্কৃতির বেশিরভাগ পরিমার্জিত বিনোদনও গ্রহণ করেছিলেন। পূর্ব প্রাতিষ্ঠানিক সংযোগের ফলে সাংস্কৃতিক সাধনা এসেছিল। আদর্শিক ন্যায্যতার সাথে সংস্কৃতির আরও মিল রয়েছে: যেমনটি আমরা আগের বিভাগে দেখেছি, দরবারের সংস্কৃতির বেশিরভাগ অংশ যোদ্ধাদের কাছে অস্বীকার করা বৈধতা উপভোগ করেছিল।
=== বলপ্রয়োগের একচেটিয়া: বাধ্যতামূলক বাসস্থান ===
শোগুন-শুগো সম্পর্কের দিকে অগ্রসর হয়ে, ১৩৮০-এর দশকে কানরেই কাউন্সিল ব্যবস্থাটি যোশিমিতসু দ্বারা শক্তিশালী করা হয়েছিল যখন তিনি পশ্চিম ও মধ্য শুগো প্রভুদের কিয়োটোতে বাসস্থান নিতে রাজি করেছিলেন। এমনকি তিনি ১৩৮৯ সালে ওউচি ইয়োশিহিরোর সাথে দেখা করতে গিয়েছিলেন এবং তার তথাকথিত তীর্থযাত্রার সময় তাকে কিয়োটোতে বাস করতে রাজি করান। এই সার্কিটগুলো তিনি যে প্রদেশগুলোতে ভ্রমণ করেছিলেন সেগুলোর মাধ্যমে তাঁর শক্তি প্রদর্শন করতে ব্যবহৃত হয়েছিল (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ২৯-৩০)। যোশিমিতসু যে বাধ্যতামূলক আবাসিক নীতি চালু করেছিলেন তা ছিল প্রধান জবরদস্তিমূলক নীতি যা কানরেই কাউন্সিল ব্যবস্থাকে সহায়তা করেছিল এবং শোগুনকে শুগো প্রভুদের চারপাশে তার খপ্পর শক্ত করতে সক্ষম করেছিল। রাজধানী শহর ছেড়ে যাওয়ার অনুমতি খুব কমই শুগো প্রভুকে দেওয়া হয়েছিল: এটি কেবল সিনিয়র করদ রাজ্য কাউন্সিলে আলোচনার পরে মঞ্জুর করা হয়েছিল। এমনকি প্রাদেশিক বিদ্রোহ বা দক্ষিণ দরবারের গেরিলা কার্যকলাপের ক্ষেত্রে অনুমতি দেওয়া হলেও, উপযুক্ত জিম্মিদের কিয়োটোতে রেখে দেওয়া হয়েছিল। যদি শুগো প্রভু অনুমতি ছাড়াই চলে যান তবে এটি রাষ্ট্রদ্রোহের সমতুল্য হিসাবে দেখা হত (কাওয়াই ১৯৭৭: ৬৮-৯; তনুমা ১৯৭৬: ১৩)।
কান্তো এবং কিউশু শুগোকে কিয়োটোতে বাধ্যতামূলক বসবাসের এই আদেশ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল। যাইহোক, মুরোমাচি শাসনের কামাকুরা সদর দফতর কান্টো শুগো প্রভুদের ক্ষেত্রে অনুরূপ নীতি প্রবর্তন করেছিল এবং তাদের কামাকুরায় প্রাসাদ প্রতিষ্ঠা করতে বাধ্য করেছিল যেমন পশ্চিম ও কেন্দ্রীয় শুগো প্রভুরা কিয়োটোতে প্রাসাদ তৈরি করেছিল (কাওয়াই ১৯৭৭: ৬৮)। কিয়োটোতে ম্যানশন বিল্ডিং ফ্যাশনেবল হয়ে ওঠে এবং শেষ পর্যন্ত কিউশুর শিমাজুর মতো শুগো প্রভুদের অন্তর্ভুক্ত করে, যিনি কিয়োটোতে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যদিও তার এটি করার প্রয়োজন ছিল না। শুগো প্রভুদের সত্যিই এই বিষয়ে খুব কম পছন্দ ছিল। তারা হয় কিয়োটোতে বাস করত অথবা শাসকগোষ্ঠীর বিশ্বাসঘাতক হিসাবে চিহ্নিত হয়েছিল। কানরেই কাউন্সিল সিস্টেমের মতো প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি, বাধ্যতামূলক আবাসিক নীতির জাতীয় দৃষ্টিকোণ থেকে এবং প্রাদেশিক দৃষ্টিকোণ থেকে উভয়ই অগণনীয় প্রভাব ছিল। প্রারম্ভিকদের জন্য, শুগো প্রভুদের শক্তি এই নীতি দ্বারা মারাত্মকভাবে সীমাবদ্ধ ছিল: তাদের চলাচলের স্বাধীনতা অবরুদ্ধ করা হয়েছিল। দ্বিতীয়ত, পঞ্চদশ শতাব্দীর দ্বিতীয় চতুর্থাংশে সময় অতিবাহিত হওয়ার সাথে সাথে প্রদেশগুলোতে প্রকৃত শক্তি শুগো প্রভুদের কাছ থেকে দূরে সরে যায় এবং ডেপুটি শুগো (শুগো-দাই) এবং প্রদেশগুলোতে বসবাসকারী অন্যান্য স্বাধীন সামুরাই (কোকুজিন) এর উপর বিশ্রাম নেয়। সুতরাং, শুগো প্রভুদের দৃষ্টিকোণ থেকে বাধ্যতামূলক আবাসিক নীতি দীর্ঘমেয়াদী বিপর্যয় হিসাবে প্রমাণিত হয়েছিল (কাওয়াই ১৯৭৭: ৭৩)। ডেপুটি শুগোর নিয়োগের প্রয়োজন ছিল বাধ্যতামূলক আবাসিক নীতি যদি শুগো প্রভুরা প্রদেশগুলোতে তাদের ক্ষমতা বজায় রাখতে চায়। স্বল্পমেয়াদে, শাখা পরিবারের সদস্যদের এবং সামুরাই কোকুজিনকে ডেপুটি শুগো হিসাবে নিয়োগ দেওয়া এবং প্রদেশগুলোতে তাদের নিজস্ব প্রতিনিধি হিসাবে ব্যবহার করা ভাল কাজ করেছিল; কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে, শুগো প্রভুদের হাত থেকে ক্ষমতা তাদের ভাড়া করা লোকদের হাতে চলে যায়।
=== শোগুনাল আর্মি ===
ইয়োশিমিতসু সামরিক শক্তি প্রয়োগ করে শুগো প্রভুদের আনুগত্যে নামিয়ে আনতে দ্বিধা করেননি এই অজুহাতে যে তারা খুব শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। তিনি তাঁর উপর নির্ভরশীল প্রায় তিন হাজার যোদ্ধা নিয়ে পাঁচটি বিভাগ নিয়ে গঠিত একটি নতুন শোগুনাল সেনাবাহিনী (গোবাঁশু) একত্রিত করেছিলেন (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ১০৬-৭)। এই বাহিনীটি একটি শক্তিশালী অ্যারে ছিল, বিশেষত যখন তারা অন্যান্য শুগো প্রভুদের অবদানের দ্বারা বৃদ্ধি পেয়েছিল। শোগুনাল সেনাবাহিনীর গুরুত্ব পরিমাণের বাইরে চলে যায়। তবে এই বাহিনীটি যা প্রতিনিধিত্ব করে তার উপর আরও আঘাত করে: কোকুজিন সামুরাই দ্বারা গঠিত তার নিজস্ব করদ রাজ্যগুলোর সাথে শোগুনকে সরাসরি সংযুক্ত করে একটি পৃথক বাহিনী। শোগুনাল সেনাবাহিনী শুগো বাহিনীর উপর নজরদারি হিসাবে কাজ করেছিল। দ্বিতীয় অধ্যায়ে আমরা দেখেছি, প্রথম আশিকাগা শোগুন, তাকাউজি, সামুরাই স্টুয়ার্ডদের সাথে এস্টেটের জমিতে আবদ্ধ করে তাদের সাথে সম্পর্ক তৈরি করেছিল। প্রারম্ভিক মুরোমাচি সময়কালে, শোগুনের কমান্ডের অধীনে এই পৃথক করদ রাজ্য শ্রেণিবিন্যাস শুগো শক্তির উপর একটি গুরুত্বপূর্ণ চেক ছিল। আমরা দেখব এই পূর্ববর্তী সেনাবাহিনী যোশিমিতসুর শোগুনাল সেনাবাহিনী থেকে কীভাবে আলাদা ছিল।
শোগুনাল সেনাবাহিনীর দুটি উপাদান ছিল: শোগুনাল দেহরক্ষী (শিনইগুন) আশিকাগা শাখা পরিবারের সদস্য, শুগো আত্মীয় এবং শুগো শাখার পরিবারের সদস্য, শাসক কর্মকর্তাদের অন্যান্য পুত্র ও ভাই এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণভাবে, শক্তিশালী কোকুজিন নিয়ে গঠিত। সংখ্যায় (বড়জোর সাড়ে তিনশো পুরুষ), এই দলটি একটি সুসংহত এবং অনুগত সংস্থা ছিল, যে কোনও মূল্যে শোগুনের ব্যক্তিকে রক্ষা করতে প্রস্তুত ছিল (আর্নেসেন ১৯৮৫: ১০২)। এই ছোট্ট ব্যান্ডের চারপাশে শোগুনের বেশ কয়েকটি প্রত্যক্ষ করদ রাজ্য ছিল যা ১৩৩৬ সালে এর উত্সটি সন্ধান করেছিল, যখন শোগুন তাকাউজি অনেক সামুরাইকে বাড়ির করদ রাজ্য হিসাবে ঘিরে ফেলেছিল যারা সম্ভবত রিজার্ভ সেনাবাহিনী হিসাবে ব্যবহৃত হয়েছিল (গে ১৯৮৬: ৯৫-৬); শোগুনাল দেহরক্ষীর সদস্যদের সাথে সংযুক্ত বৃহত্তর সংখ্যক পরোক্ষ করদ রাজ্য সম্ভবত যোশিমিতসুর অধীনে শোগুনাল সেনাবাহিনীর বেশিরভাগ অংশ তৈরি করেছিল। এই শেষ পয়েন্টটি আর্নেসেন দ্বারা ভালভাবে চিত্রিত হয়েছে, যিনি গণনা করেছিলেন যে শোগুনাল দেহরক্ষীতে সরাসরি করদ রাজ্যের সংখ্যা ষোড়শ শতাব্দীর শেষের দিকে হোজো বংশের অধীনে তালিকাভুক্ত প্রত্যক্ষ করদ রাজ্যের সংখ্যা ষাট থেকে সত্তর শতাংশ ছিল (১৯৮৫: ১২৬)। এবং যদি প্রয়াত হোজো ওডাওয়ারা অভিযানে পঞ্চাশ হাজার সৈন্য মাঠে নামাতে সক্ষম হত। তবে সাড়ে তিনশো শোগুনাল দেহরক্ষী সহজেই তাদের নিজস্ব করদ রাজ্যগুলোর একত্রিত করতে পারত যা গ্রসবার্গ দাবি করেছেন যে তিন হাজার সৈন্য নিয়ে এসেছিল যা গ্রসবার্গ দাবি করেছিলেন যে ১৩৯১ এর মেইটোকু রাইজিং (১৯৮১: ১০৭)। শোগুনাল দেহরক্ষীর সৃষ্টি এবং অন্যান্য শোগুনাল করদ রাজ্যগুলোর উপর এই গোষ্ঠীর কেন্দ্রীয় অবস্থানই যোশিমিতসুর শোগুনাল সেনাবাহিনীকে তাকাউজির শোগুনাল করদ রাজ্য থেকে পৃথক করে। নতুন শোগুনাল সেনাবাহিনীর সাথে একটি শক্ত সংগঠন এবং এসপ্রিট ডি কর্পস আবির্ভূত হয়েছিল।
=== শক্তিশালী শুগোকে পরাজিত করতে শুগো জোটের উসকো ===
তবে, যুদ্ধের ময়দানে কানরেই শ্রেণির শুগো প্রভুদের সাথে দেখা করতে এবং পরাজিত করার জন্য একা শোগুনাল সেনাবাহিনী পর্যাপ্ত ছিল না। তবে যোশিমিতসু যে ধরণের যুদ্ধ অনুশীলন করেছিলেন তার জন্য পুরোপুরি উপযুক্ত ছিল: একজন শুগো প্রভুকে পরিবারের সদস্যের বিরুদ্ধে এবং অন্যান্য শুগো প্রভুদের বিরুদ্ধে দাঁড় করানো। পূর্ববর্তী শোগুনের অধীনে উত্থিত নতুন শোগুনাল আধিপত্য, যোশিয়াকিরা, যোশিমিতসুর রাজনীতিতে আধিপত্য বিস্তার করতে এসেছিল। শোগুনাল প্রতিপত্তি অনানুষ্ঠানিকভাবে নির্দেশ দিয়েছিল যে কোনও একক শুগো প্রভু শোগুনের ক্রোধের শিকার না হয়ে ক্ষমতার একটি নির্দিষ্ট স্তর অতিক্রম করবেন না। এটি শুগো প্রভুদের নিজেদের স্বার্থেই ছিল যে তাদের নিজস্ব সহকর্মীদের কেউই বাকিদের উপর খুব বেশি শক্তিশালী এবং প্রভাবশালী হয়ে উঠবে না (ভার্লি ১৯৬৭: ৬৩-৬৪)।
এই নীতি অনুসরণ করে ১৩৮৯ সালে যোশিমিতসু মিনো, আইসে এবং ওওয়ারি প্রদেশের শুগো প্রভু টোকি ইয়াসুয়ুকিকে পরবর্তী প্রদেশটি এক আত্মীয়ের কাছে ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। ইয়াসুয়ুকি প্রত্যাখ্যান করেছিলেন এবং যোশিমিতসু ইয়াসুয়ুকির চাচাতো ভাই ইয়োরিমাসুকে তাকে আক্রমণ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। তিন বছর পরে ইয়াসুয়ুকি পরাজিত হন এবং ১৩৯১ সালে মিনো প্রদেশটি টোকি ইয়োরিমাসুকে ছেড়ে দেন (পাপিনোট ১৯৭২: ৬৫৯)। ইয়োশিমিতসুর কাছে যে প্রদেশটি ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল তা মিনো বা ওওয়ারি ছিল কিনা তা বিবেচ্য ছিল না যতক্ষণ না টোকি ইয়াসুয়ুকি কেন্দ্রীয় প্রদেশগুলোতে তার কিছু ক্ষমতা ছিনিয়ে নিয়েছিল।
১৩৯১ সালে মেইতোকু রাইজিং (রান) এর আগে, ইয়ামানা পরিবারের পশ্চিম ও মধ্য জাপানের এগারোটি প্রদেশ ছিল। এটি তাদেরকে দেশের সবচেয়ে শক্তিশালী শুগো পরিবারে পরিণত করেছিল। যোশিমিতসু তাদের আক্রমণ করার জন্য একটি অজুহাত খুঁজছিলেন। যখন ইয়ামানা মিতসুয়ুকি (যিনি ইজুমো, তাম্বা, হোকি এবং ওকি প্রদেশগুলোর উপর শুগো ছিলেন) ইজুমোতে রাজকীয় পরিবারের কিছু সম্পত্তি দখল করেছিলেন, যোশিমিতসু মিতসুয়ুকির বিরুদ্ধে অভিযানের পরিকল্পনা করার জন্য প্রাক্তন-কানরেই হোসোকাওয়া ইয়োরিয়ুকিকে স্মরণ করেছিলেন (পাপিনোট ১৯৭২: ৭৪৪)। ইয়ামানা শুগো প্রভু মিতসুয়ুকি এবং উজিকিও কিয়োটো আক্রমণ করেছিলেন, কিন্তু ওউচি যোশিহিরোর বাহিনীর সাথে কনসার্টে শোগুনাল সেনাবাহিনীর কাছে মারাত্মকভাবে পরাজিত হয়েছিলেন (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ৩০,১০৭; গ্রসবার্গ ১৯৮১: ৩০,১০৭; গ্রসবার্গ ১৯৮১: ৩০,১০৭)। আর্নেসেন ১৯৭৯: ৮২)। শোগুনের বাহিনী গঠিত অন্যান্য শুগো দলগুলোর প্রত্যেকের সংখ্যা তিন শতাধিক ঘোড়সওয়ারের বেশি ছিল না (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ১০৭)। অভিযানের পর ইয়ামানাকে কেবল দুটি প্রদেশ বরাদ্দ করা হয়েছিল, তাজিমা এবং হকি, এবং বিদ্রোহের নেতাদের হত্যা করা হয়েছিল, যুদ্ধে উজিকিও এবং ১৩৯৫ সালে হত্যার মাধ্যমে মিতসুইউকি (পাপিনোট ১৯৭২: ৭৪৪)। ১৩৯৯ সালে এক শুগো প্রভুর বিরুদ্ধে আরেক শুগো লর্ডের এই দাঁড় তুঙ্গে ওঠে। হাস্যকরভাবে, এবার লক্ষ্যবস্তু ছিল ওউচি ইয়োশিহিরো, যিনি ইয়ামানার বিরুদ্ধে প্রচারণায় শাসকদের ভালভাবে সেবা করেছিলেন। যোশিহিরোকে ১৩৯৭ সালে শোনি আক্রমণ করার আদেশ দেওয়া হয়েছিল যা তিনি করেছিলেন, প্রক্রিয়াটিতে তার ভাইকে হারিয়েছিলেন। পরে তিনি যোশিমিতসুর বাইজেন্টাইন দ্বিচারিতা সম্পর্কে শিখেছিলেন: শোনিকেও ওচি আক্রমণ করার আদেশ দেওয়া হয়েছিল। এই দ্বিচারিতায় ক্ষুব্ধ হয়ে এবং শোগুন যখন তাকে কিয়োটোতে ডেকে পাঠায় তখন তার জীবনের ভয়ে তিনি অবাধ্য হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ৩২)। অবাক হওয়ার কিছু নেই যে, শাসকগোষ্ঠী তাকে শত্রু ঘোষণা করেছিল। এ সাকাইয়ের যুদ্ধ, যোশিমিতসু পাঁচটি শুগো প্রভুর বাহিনী, হোসোকাওয়া, আকামাতসু, কিয়োগোকু, শিবা এবং হাতাকিয়ামার বাহিনী সহ শহরে আগুন লাগিয়ে যোশিহিরোর প্রতিরক্ষামূলক কাজগুলোকে অভিভূত করেছিল (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ৩৩; গ্রসবার্গ ১৯৮১: ৩৩)। সানসোম ১৯৬১: ১৪৯)। যোশিমিতসুর নেতৃত্বে মিত্র বাহিনী ওচির ৫,০০০ যোদ্ধার বিপরীতে ৩০,০০০ যোদ্ধা ছিল: যোশিহিরো কেবল যুদ্ধে অভিভূত হয়েছিলেন যেখানে তিনি আত্মহত্যা করেছিলেন (আর্নেসেন ১৯৭৯: ৮২,৮৬)। এই পূর্ববর্তী প্রতিটি উদাহরণ যেমন ব্যাখ্যা করে, শোগুনাল আধিপত্য খুব কার্যকর হয়ে ওঠে। এটি শুগো প্রভুদের সহকর্মীদের আক্রমণ ও ধ্বংস করে বিভক্ত করার জন্য ব্যবহৃত হয়েছিল। শোগুনাল আধিপত্য শোগুনাল সেনাবাহিনীর সাথে তাদের বাহিনীকে একত্রিত করতে শুগো প্রভুদের সহযোগিতা ছাড়া সফল হত না। তবে শোগুনাল সেনাবাহিনী এবং শাসকগোষ্ঠীর অন্যান্য ব্যয় নির্বাহের জন্য অর্থ না থাকলে এই জবরদস্তিমূলক নীতি অকল্পনীয় ছিল।
=== রাজস্ব ===
চতুর্দশ এবং পঞ্চদশ শতাব্দীর শেষের দিকে কিয়োটো অর্থনৈতিক কার্যকলাপের জন্য একটি উজ্জ্বল কেন্দ্র ছিল। শোগুন যোশিমিতসুর অধীনে উদ্ভূত বাধ্যতামূলক আবাসিক নীতির সাথে, শুগো প্রভুরা তাদের করদ রাজ্য এবং চাকরদের সাথে শহরের বিশিষ্ট জনগোষ্ঠীতে যুক্ত হয়েছিল যার মধ্যে অভিজাত, রাজকীয় দরবার এবং মুরোমাচি সরকার অন্তর্ভুক্ত ছিল। এটি বিভিন্ন পণ্য ও পরিষেবাদির জন্য একটি বিশাল বাজারে অনুবাদ করেছিল যা শহরের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে উত্সাহিত করেছিল। রাজধানীতে বসবাসকারী শোগুন এবং শুগো প্রভু উভয়ের জন্যই এই বৃদ্ধি গুরুত্বপূর্ণ ছিল: তারা ধারাবাহিকভাবে মহাজনদের সম্পদ (সাকায়া-দোসো) ব্যবহার করেছিল। শোগুন এমনকি তাদের শহরে কর আদায়কারী হিসাবে নিয়োগ করেছিল (কাওয়াই ১৯৭৭: ৭১; গ্রসবার্গ ১৯৮১: ৩৭,৭৮-৮০)। পূর্ববর্তী কামাকুরা শাসন থেকে মুরোমাচি শাসনকে এত আলাদা করে তুলেছিল তার আয়ের ভিত্তি। এর বেশিরভাগ রাজস্ব তার জমি বেস ছাড়াও বাণিজ্যিক কর থেকে এসেছিল।
প্রশাসন বোর্ড (ম্যান্ডোকোরো) মুরোমাচি শাসনের রাজস্ব সম্পর্কিত বিষয়গুলোর জন্য ক্লিয়ারিং হাউস হিসাবে ব্যবহৃত হত। এটি প্রধান আমলাতান্ত্রিক অঙ্গ ছিল যা করের উদ্দেশ্যে শহরের বিভিন্ন বাণিজ্যিক গোষ্ঠীর সাথে শাসনকে সংযুক্ত করেছিল। ১৩৯৩ সালে শাসন সরাসরি মহাজনদের উপর কর আরোপের অধিকারকে বৈধ করে (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ৭৮,৯৫-৬)। কিয়োটোতে মূল্যায়ন করা বাণিজ্যিক করগুলো নতুন নগর ভিত্তিক মুরোমাচি শাসনের ভিত্তি হয়ে ওঠে এবং সিদ্ধান্তমূলকভাবে শাসনব্যবস্থার প্রকৃতিকে কেবলমাত্র জমিদার সম্পত্তির উপর ভিত্তি করে একটি শাসনব্যবস্থায় পরিবর্তন করে আংশিকভাবে বাণিজ্য ভিত্তিক একটি শাসনব্যবস্থায় পরিণত করে।
ঐতিহ্যবাহী কৃষিভিত্তিক রাজস্ব তিনটি প্রধান উৎস থেকে আসত: শোগুনাল এস্টেট থেকে, শোগুনাল সামন্ত থেকে এবং শুগো প্রভুদের বিরুদ্ধে নির্ধারিত কর থেকে। আশিকাগা শোগুনদের অবতরণ ঘাঁটি তাদের উত্তরসূরিদের তুলনায় নগণ্য ছিল, টোকুগাওয়া; তবে, কিয়োটো এবং কান্টো অঞ্চলের মধ্যে প্রায় দুই শতাধিক শোগুনাল এস্টেট (গরিওশো) ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল এবং এই এস্টেটগুলো থেকে উত্তোলিত রাজস্ব উল্লেখযোগ্য ছিল (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ৭০-৩)। তদুপরি, শোগুনাল এস্টেট এবং শোগুনাল সেনাবাহিনীর মধ্যে সংযোগ নির্ধারক ছিল: সেনাবাহিনীতে দায়িত্ব পালনকারী কিছু পুরুষ শোগুনের ব্যক্তিগত সম্পত্তির পরিচালকও ছিলেন (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ১১২)। তদুপরি, অনেক স্থানীয় সামুরাই সরাসরি শাসনকে (কিয়োসাই) ভূমি কর প্রদান করেছিল যা তারা হাউস করদ রাজ্য (গোকেনিন) হিসাবে উপভোগ করেছিল, প্রক্রিয়াটিতে শুগো ট্যাক্স সংগ্রহকারীদের কাছ থেকে টিকা দেওয়া হয়েছিল (গ্রসবার্গ ১৯৮১; গ্রসবার্গ ১৯৮১)। উপরন্তু, শুগো প্রভুদের সরাসরি কর আদায় করা হয়েছিল (শুগো শুসেন) তারা কতগুলো প্রদেশ পরিচালনা করেছিল সে অনুসারে। যখনই কোনও বিল্ডিং তৈরি বা ঠিক করার জন্য ছিল এবং যখন শোগুনের বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য নগদ অর্থের প্রয়োজন হয়েছিল তখন শাসকরা এটি মূল্যায়ন করেছিল (কাওয়াই ১৯৭৭: ৭১; কাওয়াই ১৯৭৭: ৭১)। গ্রসবার্গ ১৯৮১: ৭৪)। কিয়োটো এবং ইয়ামাশিরো প্রদেশের উদীয়মান বাজার অর্থনীতির কারণে মুরোমাচি শাসনের রাজস্বের উত্সগুলো কামাকুরা শাসনের চেয়ে অনেক বেশি পরিমাণে বৈচিত্র্যময় ছিল। এটি মহাজনদের কাছ থেকে বাণিজ্যিক রাজস্ব আদায় হিসাবে অভিনব আকারে এসেছিল (সাকায়া দোসো): মুরোমাচি আমলাতন্ত্রের ক্ষমতা কাঠামো কার্যকরভাবে কিয়োটো শহরটি দখল করার পরে একটি কর মূল্যায়ন করা হয়েছিল।
== দক্ষিণ দরবার সম্রাট ==
* সম্রাট গো-দাইগো「後醍醐天皇」(১২৮৮–১৩৩৯, রাজত্বকাল ১৩১৮–১৩৩৯)
* সম্রাট গো-মুরাকামি「後村上天皇」(১৩২৮–১৩৬৮, রাজত্বকাল ১৩৩৯–১৩৬৮))
* সম্রাট চোকেই「長慶天皇」((১৩৪৩–১৩৯৪, রাজত্বকাল ১৩৬৮-১৩৮৩)
* সম্রাট গো-কামেয়ামা「後亀山天皇」(১৩৪৭-১৪২৪, রাজত্বকাল ১৩৮৩-১৩৯২)
== উত্তর দরবারের সম্রাট ==
* উত্তর আশিকাগা দাবিদার ১: সম্রাট কোগন「光厳天皇」(১৩১৩–১৩৬৪, রাজত্বকাল ১৩৩১–১৩৩৩)
* উত্তর আশিকাগা দাবিদার ২: সম্রাট কোমিয়ো「光明天皇」(১৩২২–১৩৮০, রাজত্বকাল ১৩৩৬–১৩৪৮)
* উত্তর আশিকাগা দাবিদার ৩: সম্রাট সুকো「崇光天皇」(১৩৩৪–১৩৯৮, রাজত্বকাল ১৩৪৮–১৩৫১)
* ইন্টাররেগনাম, নভেম্বর ২৬, ১৩৫১ থেকে ২৫ সেপ্টেম্বর, ১৩৫২ পর্যন্ত
* উত্তর আশিকাগা দাবিদার ৪: সম্রাট গো-কোগন「後光厳天皇」(১৩৩৮–১৩৭৪, রাজত্বকাল ১৩৫২–১৩৭১)
* উত্তর আশিকাগা দাবিদার ৫: সম্রাট গো-এন'ইউ「後円融天皇」(১৩৫৯–১৩৯৩, রাজত্বকাল ১৩৭১–১৩৮২)
a7n054yn8ldt21nvt1r7b6xeg3mmrpt
84424
84423
2025-06-16T16:48:42Z
NusJaS
8394
/* কামাকুরা থেকে মুরোমাচি পর্যন্ত জমিদারি (শোয়েন) ব্যবস্থার বিবর্তন */
84424
wikitext
text/x-wiki
নানবোকু-চো যুগ (南北朝時代, নানবোকু-চো জিদাই) ১৩৩৬ সাল থেকে ১৩৯২ সাল পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। এটি মুরোমাচি যুগের একটি অংশ ছিল।
এই সময়ে দুটি সাম্রাজ্যীয় দরবার ছিল। এরমধ্যে কিয়োতোতে আশিকাগা তাকাউজি প্রতিষ্ঠা করেছিল উত্তর সাম্রাজ্যীয় দরবার; এবং সম্রাট গো-দাইগো ইয়োশিনোতে প্রতিষ্ঠা করেছিল ক্ষিণ সাম্রাজ্যীয় দরবার।
মতাদর্শগতভাবে, এই দুই দরবার প্রায় পঞ্চাশ বছর ধরে সংঘর্ষে লিপ্ত ছিল। তবে ১৩৯২ সালে দক্ষিণ দরবার উত্তর দরবারের কাছে আত্মসমর্পণ করে। বাস্তবে উত্তর রাজবংশ ছিল আশিকাগা শোগুনদের নিয়ন্ত্রণাধীন এবং তাদের বাস্তবিক স্বাধীনতা খুবই সীমিত ছিল।
উনবিংশ শতাব্দী থেকে শুরু করে দক্ষিণ দরবারের সম্রাটদের জাপানের বৈধ সম্রাট হিসেবে গণ্য করা হয়। এর পেছনে কিছু কারণ ছিল—দক্ষিণ দরবারের হাতে জাপানি সম্রাজ্ঞী রাজমুকুট ও প্রতীকগুলোর নিয়ন্ত্রণ, এবং কিতাবাতাকে চিকাফুসার লেখা ''জিন্নো শোতোকি'' ছিল। এটি তাদের পরাজয়ের পরেও দক্ষিণ দরবারের বৈধতাকে সমর্থন করেছিল।
এই সময়কালের ঘটনাগুলোর প্রভাব এখনও আধুনিক জাপানের প্রচলিত দৃষ্টিভঙ্গিতে সম্রাট ব্যবস্থা (তেননো সেইকা) প্রভাবশালী হতে থাকে। রাষ্ট্রীয় শিন্তো ধর্মের প্রভাবে ১৯১১ সালের ৩ মার্চ জারিকৃত এক সাম্রাজ্যীয় ডিক্রিতে এই সময়ের বৈধ রাজাদের দক্ষিণ দরবারের সদস্য বলেই ঘোষণা করা হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর, কুমাজাওয়া হিরোমিচি থেকে শুরু করে একদল দাবিদার নিজেদের দক্ষিণ দরবার থেকে বংশোদ্ভূত দাবি করে এবং উত্তর দরবার থেকে আসা রাজবংশের আধুনিক সাম্রাজ্যীয় ধারার বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে।
১৩৩৩ সালে কামাকুরা শোগুনাতের পতন এবং ১৩৩৬ সালে কেম্মু পুনর্গঠনের ব্যর্থতা নতুন শাসনব্যবস্থার বৈধতা নিয়ে সংকট তৈরি করে। পাশাপাশি, অভিজাত এবং যোদ্ধাদের আয়ের ভিত্তি জমিদারি ব্যবস্থায় (শোয়েন) কাঠামোগত পরিবর্তন সমাজের বিভিন্ন শ্রেণির অবস্থান পরিবর্তনে বড় ভূমিকা রাখে। নানবোকু-চো যুদ্ধের মধ্য দিয়ে যে মুরোমাচি শাসন ব্যবস্থা উদ্ভূত হয়, তা যোদ্ধা শ্রেণির অর্থনৈতিক ভিত্তিকে প্রসারিত করে। তবে অভিজাত মালিকদের ক্ষমতা হ্রাস করে। এটি কামাকুরা বাকুফুর সময় থেকেই শুরু হয়েছিল।
== কামাকুরা বাকুফুর পতন ==
গৃহযুদ্ধের সূচনায় অবদান রাখা প্রধান কারণ ছিল—হোজো পরিবার ও অন্যান্য যোদ্ধা গোষ্ঠীর মধ্যে ক্রমবর্ধমান বিরোধ। এটি ১২৭৪ এবং ১২৮১ সালের মঙ্গোল আক্রমণের পর থেকে বৃদ্ধি পায়। এছাড়াও আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ ছিল কেম্মু পুনর্গঠনের ব্যর্থতা। এটি সম্রাট-অনুগামী ও আশিকাগা গোষ্ঠীর সমর্থকদের মধ্যে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করে।
১৩শ শতাব্দীর শেষদিকে হোজো-নেতৃত্বাধীন কামাকুরা শাসনের প্রতি যোদ্ধাদের মধ্যে অসন্তোষ বৃদ্ধি পায়। এই অসন্তোষের মূল কারণ ছিল, হোজোদের অন্যান্য যোদ্ধা পরিবারগুলোর ওপর ক্রমবর্ধমান আধিপত্য বিস্তার। বিশেষ করে হোজো তোকিমুনের (১২৬৮–১২৮৪) শাসনকালে মঙ্গোল সংকটের সময় এই কেন্দ্রীয়করণ আরও প্রকট হয়। সে সময়ে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটে: হোজো পরিবারে রাজ্য পরিষদে নিয়োগ বৃদ্ধি পায়; হোজোদের ব্যক্তিগত পারিবারিক পরিষদই প্রধান সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী সংস্থা হয়ে ওঠে; এবং হোজোর সরাসরি অধীনস্থ করদ রাজ্যগুলো ক্রমবর্ধমানভাবে শুগো (প্রাদেশিক গভর্নর) হিসেবে উন্নীত করা হয়। এর ফলে তারা কেবলমাত্র নিজেদের পরিবারের সদস্য ও সরাসরি অধীনস্ত করদ রাজ্যগুলোর অন্তর্ভুক্ত করার ফলে বৃহত্তর ভিত্তির সমর্থন হারায়। ১৩৩১ সালে হোজোর বিরুদ্ধে এক জোট গঠিত হলে তার শাসনব্যবস্থার পতন ঘটাতে মাত্র দুই বছর সময় লেগেছিল।
ত্রয়োদশ শতাব্দীর শেষের দিকে যোদ্ধাদের মধ্যে হোজো-নেতৃত্বাধীন কামাকুরা শাসনের প্রতি অসন্তোষ দেখা দেয়। এই বিরক্তি শাসনের মধ্যে অন্যান্য যোদ্ধা পরিবারের উপর হোজোর প্রভাবের কারণে ঘটেছিল। হোজো টোকিমুনের রাজত্বকালে (১২৬৮-১২৮৪ খ্রিষ্টাব্দ) ক্ষমতার এই কেন্দ্রীকরণের পেছনে মঙ্গোল আক্রমণ মূল কারণ ছিল। সঙ্কটের সময়, তিনটি জিনিস ঘটেছিল: হোজো পরিবারের কাউন্সিল অফ স্টেটে নিয়োগ বেড়েছে; হোজো প্রাইভেট ফ্যামিলি কাউন্সিল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী সংস্থা হয়ে ওঠে। হোজোর সরাসরি শুগো পোস্টে উন্নীত হয়েছিল। তারা মূলত সমর্থনের বিস্তৃত ভিত্তির ব্যয়ে কেবল হোজো পরিবারের সদস্য এবং সরাসরি অন্তর্ভুক্ত করে তাদের নির্বাচনী এলাকাগুলোকে সংকীর্ণ করেছিল। ১৩৩১ সালে যখন হোজোর বিরুদ্ধে একটি জোট গঠিত হয়,
তখন কৃষিভিত্তিক সমাজে সম্পদের মূল উৎস ছিল জমি, এবং মধ্যযুগীয় জাপানেও এর ব্যতিক্রম ছিল না। প্রকৃতপক্ষে, যোদ্ধা শ্রেণির মধ্যে বেশিরভাগ অসন্তোষের মূল কারণ ছিল জমি। মিনামোতো গোষ্ঠীর উত্থানের পর থেকে যুদ্ধজয়ের পুরস্কার হিসেবে ভূমি দান ছিল যোদ্ধাদের জন্য একটি স্বীকৃত প্রথা। কিন্তু মঙ্গোল আক্রমণ ছিল ব্যতিক্রম, কারণ এটি বিদেশী শত্রুর বিরুদ্ধে দেশরক্ষার যুদ্ধ ছিল, অন্য কোনও যোদ্ধা গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে নয়। ফলে বিদেশী শত্রুর পরাজয়ের পরে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার হিসেবে তুলে দেওয়ার মতো কোনও জমি ছিল না। এই পরিস্থিতি বিশেষভাবে কঠিন ছিল সেই যোদ্ধাদের জন্য, যারা বীরত্বের সাথে যুদ্ধ করেছিল এবং জমির জন্য হোজো শাসকদের কাছে আবেদন করেছিল। চতুর্দশ শতাব্দীর শুরুতেই এই অসন্তোষ নতুন যে কোনও শাসন ব্যবস্থার ওপর প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি করেছিল। এই শ্রেণিকে সন্তুষ্ট না করতে পারলে নতুন শাসনের স্থায়িত্ব ছিল অনিশ্চিত।
নানবোকু-চো যুদ্ধ ছিল একটি মতাদর্শগত লড়াই—একদিকে ছিল যারা সম্রাটের পুনঃস্থাপন চেয়েছিল, অন্যদিকে ছিল যারা কামাকুরা শাসনের আদলে একটি নতুন যোদ্ধা শাসন প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিল। যেন জাপানের ইতিহাসের পূর্ববর্তী হেইয়ান ও কামাকুরা যুগের মধ্যে মতাদর্শগত সংঘর্ষ ঘটছিল। কিতাবাতাকে চিকাফুসার মতো অভিজাত যোদ্ধারা বুঝতে পারতেন যে পুনর্গঠনে যোদ্ধাদের অংশগ্রহণ প্রয়োজন, তবে মতাদর্শগত স্তরে তাকাউজির সঙ্গে তার তীব্র মতভেদ ছিল, যা ভবিষ্যতের নেতৃত্বেও প্রভাব ফেলেছিল। যুদ্ধের মধ্যেই তৈরি হয় নতুন মুরোমাচি শাসন, যা কেম্মু পুনর্গঠনের ব্যর্থতার সরাসরি ফলাফল ছিল।
== অনুগত সম্পর্ক ও মুরোমাচি বাকুফুর উত্থান ==
উভয় পক্ষের মধ্যে তীব্র লড়াই প্রায় ত্রিশ বছর ধরে চলে। এর পর নতুন যোদ্ধা শাসনের সমর্থকরা আধিপত্য লাভ করে। আশিকাগা তাকাউজি ক্ষমতা কেন্দ্রীকরণের জন্য তিনটি মূল নীতি অনুসরণ করেন:
১. হানজেই বা অর্ধেক কর নীতি, যা জমিদার জমি ভাগ করে দেয়;
২. সামুরাই অনুগতদের (গোকেনিন) সঙ্গে অনুগত্য সম্পর্ক;
৩. শুগো প্রভুদের বাকুফু গভর্নর ও প্রাদেশিক সামন্ত হিসেবে ব্যবহার (এটি পরে বিস্তারিতভাবে আলোচিত)।
এই দুই কাঠামো—সামুরাই অনুগত্য ও শুগো নিয়ন্ত্রণ ১৩৫০-এর দশকে শাসন প্রতিষ্ঠার পর গড়ে ওঠে এবং শোগুনের ক্ষমতা নির্ধারণে মুখ্য ভূমিকা রাখে। প্রশাসনিক কাঠামোগুলো বোঝা কঠিন, কারণ কানো বিশৃঙ্খলার পর প্রাথমিক প্রশাসনে ব্যাপক পরিবর্তন আসে। এগুলোর অধিকাংশই কিয়োতো ও ইয়ামাশিরো প্রদেশেই সীমাবদ্ধ ছিল।
=== কামাকুরা থেকে মুরোমাচি পর্যন্ত জমিদারি (শোয়েন) ব্যবস্থার বিবর্তন ===
হানজেই অর্ধ কর নীতিটি সরাসরি ও তীব্র: এটি এস্টেট জমিতে সামুরাই আক্রমণের বৈধতা স্বীকৃতি দেওয়ার একটি কঠোর নীতি ছিল। কিন্তু একই সঙ্গে এস্টেট বা জমিদারি ব্যবস্থার অস্তিত্ব রক্ষা করার নিশ্চয়তা দিয়েছিল।
এস্টেট সিস্টেম কীভাবে পরিবর্তিত হয়েছিল তা পরীক্ষা করার জন্য আমাদের প্রথমে কামাকুরা আমলের দিকে তাকাতে হবে। সামুরাই স্টুয়ার্ড (জিতো) এবং কামাকুরা শাসনের (১১৮৫-১৩৩৩ খ্রিষ্টাব্দ) মধ্যে করদ সম্পর্ক মধ্যস্থতাকারী ছিল। কারণ তারা সামুরাই স্টুয়ার্ডকে (জিতো) এমন একটি অবস্থানে রেখেছিল যেখানে তিনি একই সাথে কামাকুরা এবং কিয়োটো উভয়ের কাছেই জবাবদিহি করেছিলেন। সামুরাই হিসাবে নির্বাচিত হয়ে তাকে একটি কল্পিত আত্মীয়তার বন্ধনে তার বাড়ির সদস্য হিসাবে শোগুনের সাথে সরাসরি করদ সম্পর্কের মধ্যে রাখা হয়েছিল। স্টুয়ার্ড হিসাবে সামুরাই একজন শোগুনাল হাউসম্যান (গোকেনিন) এবং বিশ্বস্ত করদ রাজা হয়েছিলেন। তিনি এমন একটি এস্টেটের পরিচালনার ভার পেয়েছিলেন, যা আইনত কিয়োটোতে একজন আভিজাত্যের মালিকানাধীন ছিল (ভার্লি ১৯৬৭: ২২-৫)। এখানেই কামাকুরা করদ সম্পর্কের মধ্যস্থতাকারী প্রকৃতি রয়েছে। কামাকুরায় যোদ্ধা শাসনের সামন্ত হিসাবে তিনি সামরিক পরিষেবা এবং বকেয়া আকারে শোগুনের কাছে জবাবদিহি করেছিলেন। তবে একজন অভিজাতের মালিকানাধীন এস্টেটের পরিচালক হিসাবে তাকে পরবর্তীকালে খাজনা দিতে হয়েছিল। আমরা প্রথমে কামাকুরা করদ রাজ্য হিসাবে সামুরাই স্টুয়ার্ডের প্রকৃতি পরীক্ষা করব এবং তারপরে আশিকাগা তাকাউজির অধীনে উদ্ভূত করদ বন্ধনগুলো পরীক্ষা করব।
কামাকুরা শাসন ব্যবস্থার স্থায়িত্ব শাসকদের প্রভাবশালী যোদ্ধাদের পরিচালনার অধিকার (জিতো শিকি) এবং অভিজাত মালিকের খাজনা ও জমির মালিকানার অধিকারের গ্যারান্টির উপর নির্ভর করেছিল। সামুরাই স্টুয়ার্ডদের সাথে করদ সম্পর্কের মাধ্যমে, নতুন যোদ্ধা শাসনকে পুরানো এস্টেট সিস্টেমে স্থাপন করা হয়েছিল। প্রক্রিয়াটিতে আপস্টার্ট যোদ্ধা এবং অভিজাতদের মধ্যে সুপ্ত থাকা দ্বন্দ্বমূলক প্রবণতাগুলোর সেতুবন্ধন সৃষ্টি করেছিল।
যেসব সামুরাই স্টুয়ার্ডদের শোগুন বা হোজো রিজেন্টদের সাথে সরাসরি করদ সম্পর্ক ছিল, তারা হাউজকিপার (গোকেনিন) নামেও পরিচিত ছিল। কামাকুরা গোকেনিনের ঐতিহ্য একটি মর্যাদাপূর্ণ ঐতিহ্য ছিল এবং মুরোমাচি যুগে যা ঘটেছিল তার নজির স্থাপন করেছিল। ইয়োরিতোমো এবং হোজো রিজেন্টরা কেবল তাদের নিজস্ব গোকেনিনদের নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে উদ্বিগ্ন ছিল। তারা সচেতনভাবে তাদের নিজস্ব করদ রাজ্যগুলোর জমি বিরোধের মামলা শোনার মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল এবং তাদের অনুসারীদের স্টুয়ার্ডশিপ অধিকারকে পুরস্কৃত করেছিল। এটি অন্যান্য গোষ্ঠীর অন্যান্য বিরোধগুলো নাগরিক প্রশাসন দ্বারা যত্ন নেওয়া যেতে দেয়। এই নজিরটি আশিকাগা শোগুনরা অনুসরণ করেছিল।; কারণ তারা মুরোমাচি আমলে শুগো প্রভুদের আক্রমণের বিরুদ্ধে তাদের দেশের করদ রাজ্যগুলোর স্বার্থ রক্ষার চেষ্টা করেছিল।
শুগোকে কেবল প্রদেশগুলোর প্রভু হিসাবে আরও ক্ষমতা দেওয়া হয়নি। তাকাউজি এস্টেট জমি বিভক্ত করার জন্য যে অর্ধ কর নীতি (হানজেই) ব্যবহার করেছিলেন তা সামুরাই যোদ্ধাদের মালিকানাধীন জায়গীরের সংখ্যা বহুগুণ বাড়িয়ে তুলেছিল। তবে তাকাউজি আরও এগিয়ে যেতে পারতেন যদি তিনি তাঁর বিশ্বস্ত জেনারেলদের পরামর্শ অনুসরণ করতেন। কো ভাইয়েরা সম্পত্তি পুরোপুরি সরিয়ে দিতে চেয়েছিলেন। এস্টেট সিস্টেমের পুনর্বিন্যাসে যোদ্ধাদের স্বার্থ প্রাধান্য পেয়েছিল। তবে মহৎ স্বার্থ তখনও সংরক্ষিত ছিল। এস্টেট সিস্টেম সংরক্ষণে সহায়তা করার ক্ষেত্রে, অর্ধেক করের পরিমাপ এমন একটি নীতি ছিল যা তখনও যোদ্ধার অধিকারের সাথে আভিজাত্যের অধিকারকে সংযুক্ত করতে সক্ষম হয়েছিল।
অর্ধ কর নীতি যুদ্ধের সময় সংগৃহীত সামরিক রেশন (হায়রোরিয়োশো) এর জন্য মনোনীত জরুরি কর হিসাবে শুরু হয়েছিল: মিনো, ওমি এবং ওওয়ারি প্রদেশের নির্দিষ্ট মন্দির, মাজার এবং এস্টেট জমি থেকে অর্ধেক আয় মুরোমাচি শাসনের সেনাবাহিনীকে সমর্থন করার জন্য নেওয়া হবে। ক্রমবর্ধমানভাবে, এটি পুনরায় ব্যাখ্যা করা হয়েছিল এবং তাকাউজি দ্বারা করদ রাজ্যগুলোর প্রয়োগের উদ্দেশ্যে অর্ধেক জমির স্থায়ী অধিগ্রহণ হিসাবে পরিবর্তন করা হয়েছিল। এটি ছিল পূর্ববর্তী অনুশীলন থেকে আমূল প্রস্থান। উপরে উল্লিখিত হিসাবে, কামাকুরা আমলে, বেশিরভাগ জমি, বিশেষত হোনশুর কেন্দ্রীয় ও পশ্চিম প্রদেশগুলোতে, অভিজাতদের মালিকানাধীন ছিল। তবে কামাকুরা হাউস করদ রাজ্যগুলোর দ্বারা স্টুয়ার্ডশিপ (জিতো শিকি) হিসাবে পরিচালিত হয়েছিল। এটি এস্টেট প্রতিষ্ঠানে একত্রে অভিজাতদের স্বার্থ এবং যোদ্ধাদের স্বার্থ উভয়কেই একত্রিত করেছিল। অর্ধ কর ব্যবস্থার আবির্ভাবের সাথে সাথে তাকাউজি সম্পত্তির অর্ধেক জমি মহৎ নিয়ন্ত্রণ থেকে সরিয়ে তার যোদ্ধাদের জায়গীরে দিচ্ছিলেন।
=== স্থানীয় সামুরাই (কোকুজিন) এর উত্থান ===
নানবোকু-চো দ্বন্দ্ব শুরু হলে করদ সম্পর্ক আরও গুরুতর হয়ে ওঠে। সামন্তদের আনুগত্য একটি বড় বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তুলনামূলকভাবে শান্তিপূর্ণ কামাকুরা সময়কালে, সামরিক দক্ষতাগুলো প্রিমিয়ামে রাখা হয়নি। তবে গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পরে এই মানদণ্ডটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে (ভর ১৯৮৯: ১১৩-৪,১১৭)। ১৩৩৬ পরবর্তী পরিবেশের করদ সম্পর্কগুলোতে একটি নতুন মধ্যস্থতাকারী বিবেচনা উদ্ভূত হয়েছিল: আনুগত্যের প্রয়োজন এবং প্রভু এবং করদ রাজ্যের মধ্যে একটি শক্ত বন্ধন। প্রতিদ্বন্দ্বীদের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তার ফলস্বরূপ শোগুন এবং তার করদ রাজ্যগুলোর মধ্যে দৃঢ় সম্পর্ক আবির্ভূত হয়েছিল। করদ সম্পর্ক হয় আশিকাগা দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল বা আশিকাগার প্রতি অনুগত উদীয়মান শুগো প্রভুদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত অন্য যোদ্ধা শ্রেণিবিন্যাসের কাছে সম্ভাব্য যোদ্ধা হারানোর ঝুঁকি ছিল এবং সবচেয়ে খারাপ প্রতিদ্বন্দ্বী সাম্রাজ্যবাদী জেনারেলদের দ্বারা। সুতরাং, সত্যিকার অর্থে, গৃহযুদ্ধের সময়কালে যোদ্ধা নিয়োগের মাধ্যমে সম্ভাব্য দ্বন্দ্ব দূর করতে করদ বন্ধন ব্যবহার করা হয়েছিল।
একই সময়ে সামুরাই এবং শোগুনের মধ্যে করদ বন্ধন শক্ত হয়েছিল, এই সম্পর্কগুলোর বৈধতা কঠোরভাবে পরীক্ষা করা হয়েছিল। এই আপাত বৈপরীত্যটি যৌক্তিকভাবে সামুরাই আনুগত্যের অনেক দাবির অস্তিত্ব দ্বারা ব্যাখ্যা করা হয়েছে যা উপস্থাপিত হয়েছিল: প্রতিদ্বন্দ্বী সাম্রাজ্যবাদী জেনারেল, শুগো প্রভু এবং এমনকি স্থানীয় সামুরাই জোটের প্রতি।
কয়েকটি উদাহরণ শোগুন আশিকাগা তাকাউজি এবং তার নতুন গোকেনিনদের মধ্যে করদ সম্পর্কের উত্থানকে চিত্রিত করবে। ১৩৩৬ সালে তাকাউজি কিউশুতে পশ্চাদপসরণ করার পরে আকি প্রদেশে আশিকাগা স্বার্থ রক্ষার দায়িত্ব পেলে কোবায়াকাওয়া পরিবার অনুগত করদ রাজ্য হয়ে ওঠে (আর্নেসেন ১৯৮৫: ১০৮)। আরেকটি আকি সামুরাই পরিবার মোরি বংশ, ১৩৩৬ সালে তাকাউজির করদ রাজ্য হয়ে ওঠে এবং কানো ঘটনার প্রাদুর্ভাব না হওয়া পর্যন্ত কো মোরোয়াসুর অধীনে দায়িত্ব পালন করে। ১৩৫০ এর দশকে মোরি তাকাউজি তাদায়োশি এবং তার দত্তক পুত্র তাদাফুয়ুর শত্রুদের পক্ষে ছিল এবং ১৩৬০ এর দশক পর্যন্ত তারা আবার শোগুনের করদ রাজ্য হিসাবে ফিরে আসেনি (আর্নেসেন ১৯৮৫: ১১৪-৫)। কাওয়াশিমা বংশ এবং কিয়োটোর নিকটবর্তী অন্যান্য যোদ্ধা পরিবারগুলোর সাথে করদ সম্পর্ক ১৩৩৬ সালের গ্রীষ্মে তাকাউজি রাজধানী পুনরায় দখলের অভিযানে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তাকাউজির স্বাক্ষর বহনকারী করদের শর্তাদি সম্পর্কিত একটি নথির কারণে কাওয়াশিমা মামলাটি যথেষ্ট আগ্রহের বিষয়: তারা কাওয়াশিমা এস্টেটের অর্ধেকেরও বেশি স্টুয়ার্ডশিপ অধিকারের (জিতো শিকি) জন্য সামরিক পরিষেবা বিনিময় করবে, বাকি অর্ধেকটি ভাড়া আকারে অভিজাত মালিকের দখলে রেখে দেবে।
=== কানো ঘটনা এবং ১৩৫০ এর দশকে দক্ষিণ দরবারের পুনরুত্থান ===
=== ঘটনাবলী ===
তাকাউজি নামমাত্র শোগুন ছিলেন। তবে দশ বছরেরও বেশি সময় ধরে তাদায়োশি তার জায়গায় শাসন করেছিলেন। দুই ভাইয়ের মধ্যে সম্পর্ক অবশ্য কানো ঘটনা নামে একটি অত্যন্ত গুরুতর পর্বের দ্বারা ধ্বংস হওয়ার নিয়তি ছিল, এটি এমন একটি ঘটনা যা কান্নো যুগ (১৩৫০-১৩৫১) থেকে নামকরণ করা হয়েছে, যার সময় এটি ঘটেছিল এবং যার পুরো দেশের জন্য খুব গুরুতর পরিণতি হয়েছিল। দুজনের মধ্যে ঝামেলা শুরু হয়েছিল যখন তাকাউজি কো নো মোরোনাওকে তার শিটসুজি বা ডেপুটি বানিয়েছিলেন। তাদায়োশি মোরোনাওকে পছন্দ করতেন না এবং তাকে পরিত্রাণ দেওয়ার অন্য প্রতিটি প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়ে তাকে হত্যা করার চেষ্টা করেছিলেন। তার ষড়যন্ত্র আবিষ্কৃত হয়, তাই ১৩৪৯ সালে তাদায়োশি মোরোনাও সরকার ত্যাগ করতে, মাথা ন্যাড়া করতে এবং কেইশিন নামে বৌদ্ধ সন্ন্যাসী হতে বাধ্য হন। ১৩৫০ সালে তিনি বিদ্রোহ করেছিলেন এবং তার ভাইয়ের শত্রুদের সাথে যোগ দিয়েছিলেন, দক্ষিণ দরবারের সমর্থক, যার সম্রাট গো-মুরাকামি তাকে তার সমস্ত সৈন্যের জেনারেল নিযুক্ত করেছিলেন। ১৩৫১ সালে তিনি তাকাউজিকে পরাজিত করেন, কিয়োটো দখল করেন এবং কামাকুরায় প্রবেশ করেন। একই বছর তিনি মিকেজে (সেৎসু প্রদেশ) কো ভাইদের বন্দী ও মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেন। পরের বছর তার ভাগ্য ঘুরে যায় এবং তিনি সাত্তায়ামায় তাকাউজির কাছে পরাজিত হন। ভাইদের মধ্যে একটি পুনর্মিলন সংক্ষিপ্ত প্রমাণিত হয়েছিল। তাদায়োশি কামাকুরায় পালিয়ে যান, কিন্তু তাকাউজি সেখানে সেনাবাহিনী নিয়ে তাকে তাড়া করেন। ১৩৫২ সালের মার্চ মাসে, আপাতদৃষ্টিতে দ্বিতীয় পুনর্মিলনের অল্প সময়ের মধ্যেই, তাদায়োশি হঠাৎ মারা যান, তাইহেইকি অনুসারে বিষক্রিয়ায়।
=== পটভূমি ===
মুরোমাচি শাসনকে বিভক্ত করে এমন চরম বিভাজনকারী কান্নো ঘটনা একীকরণকে সাময়িকভাবে আটকে রেখেছিল। যেহেতু এই ঘটনাটি আমলাতান্ত্রিক অন্তর্দ্বন্দ্বের ফলস্বরূপ ঘটেছে, তাই প্রথমে আমলাতান্ত্রিক অঙ্গগুলোর দিকে নজর দেওয়া দরকার, তারপরে দ্বন্দ্বটি কোথায় উত্থিত হয়েছিল তা পরীক্ষা করা দরকার।
প্রাথমিক শাসনের আমলাতান্ত্রিক অঙ্গগুলো আশিকাগা ভাইদের পৃথক এখতিয়ারের অধীনে ছিল তাকাউজি এবং তাদায়োশি, একটি দ্বিখণ্ডিত প্রশাসন তৈরি করে। তাকাউজি হাউস করদ রাজ্যগুলোর নেতা ছিলেন এবং এভাবে বোর্ড অফ রিটেইনার্স (সামুরাই ডোকোরো) এবং পুরষ্কার অফিস (ওনশো-কাটা) নিয়ন্ত্রণ করেছিলেন, যখন তাদায়োশি শাসনের বিচারিক কার্যক্রমের উপর তদন্ত বোর্ড নিয়ন্ত্রণকারী আমলাতান্ত্রিক নেতা ছিলেন (সাতো ১৯৭৭: ৪৮; সাতো ১৯৭৭:৪৮)। গ্রসবার্গ ১৯৮১: ২১-২৪)।
রিটেইনার্স বোর্ড হাউস করদ রাজ্যগুলোর প্রতি শৃঙ্খলাবদ্ধ অঙ্গ হিসাবে ব্যবহৃত হয়েছিল: ব্রিগেন্ডেজ এবং অন্যান্য অপরাধের বিচার করা হয়েছিল (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ৮৮,১০৭)। পুরষ্কারের অফিসটি যোগ্য করদ রাজ্যগুলোর দাবি শুনতে এবং বন্দী করার জন্য ব্যবহৃত হয়েছিল। পুরষ্কারের অফিসটি নতুন যোদ্ধাদের তালিকাভুক্ত করতে ব্যবহৃত হয়েছিল যারা শাসনের সম্ভাব্য প্রতিপক্ষ ছিল। প্রধান বিচারিক অঙ্গ, কোডজুটরস বোর্ড, উত্তরাধিকারের সাথে জড়িত সমস্ত জমি বিরোধ মামলা এবং ঝগড়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ৮৮)। সমস্ত বিচারিক কাজগুলো একটি প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর মধ্যে আইনীভাবে দ্বন্দ্ব এবং বিরোধ নিষ্পত্তি করার জন্য ব্যবহৃত হয়। নতুন শাসনের জন্য আমলাদের (বুগিওনিন) পতনের আগে হোজো শাসনের দায়িত্ব পালনকারীদের পদমর্যাদা থেকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ৯০)। তারা মূল্যবান ছিল কারণ তারা পড়তে এবং লিখতে জানত, এমন একটি কাজ যা বেশিরভাগ যোদ্ধাদের নাগালের বাইরে।
১৩৫০ এর দশকে কানো ঘটনা এবং এর পরিণতি প্রাথমিক শাসনকে বিভক্ত এবং প্রায় ধ্বংস করে দিয়েছিল (সানসোম ১৯৬১: ৭৮-৯৫)। আপাতদৃষ্টিতে ঘটনাটি তাকাউজির ভাই আশিকাগা তাদায়োশির বিরুদ্ধে কো ভ্রাতৃদ্বয়, মোরোনাও এবং মোরোয়াসুর বিরুদ্ধে তাকাউজির সমর্থিত একটি উপদলীয় লড়াইয়ের মতো দেখায় (উইন্টারস্টিন ১৯৭৪: ২১৫; আর্নেসেন ১৯৭৯: ৫৩-৫৪)। দ্বন্দ্বটি এস্টেট সিস্টেম সম্পর্কে মতামতের পার্থক্য এবং এই ভিন্ন মতামতের পিছনে তাকাউজি এবং তাদায়োশি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত বিভিন্ন আমলাতন্ত্রের দিকে ইঙ্গিত করা যেতে পারে। সামগ্রিকভাবে তাকাউজি ছিলেন উদ্ভাবক এবং তাদায়োশি রক্ষণশীলতার ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন, অতীতের নীতিগুলো সংরক্ষণ করতে চেয়েছিলেন। করদ রাজ্য ব্যান্ডের সামরিক নেতা হিসাবে তাঁর ক্ষমতায়, তাকাউজি দুটি জিনিস করেছিলেন যা তাদায়োশির সাথে সাংঘর্ষিক ছিল: তিনি যুদ্ধক্ষেত্রের বীরত্বের পুরষ্কার হিসাবে শুগো পোস্টগুলোতে করদ রাজ্যগুলোর নিয়োগ করেছিলেন এবং তিনি শোয়েন এস্টেটগুলো ভাগ করে দিয়েছিলেন যার অর্ধেক তার করদ রাজ্যগুলোর ফিফ বা স্টুয়ার্ডশিপ হিসাবে দিয়েছিলেন। তাদায়োশি কেম্মু ফর্মুলারি খসড়া তৈরির মাধ্যমে এই নীতিগুলোর কঠোরভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন যা যুদ্ধক্ষেত্রের সেবার পুরষ্কার হিসাবে শুগোর নিয়োগের বিরোধিতা করেছিল। তিনি কোডজুটরস বোর্ডের নেতা হিসাবে তাঁর ক্ষমতায় এস্টেট জমিগুলোর যে কোনও ধরণের সরাসরি বিভাজনের বিরোধিতা করেছিলেন (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ২৩-৪)। তাকাউজি এবং তার ভাই তাদায়োশির নীতিগুলোর মধ্যে একটি স্পষ্ট বিভাজন ছিল।
দু'জন রাষ্ট্রপ্রধান থাকার ফলে দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছিল যাদের নীতিগুলো একে অপরের সাথে সাংঘর্ষিক। এই ঘটনার পরের ঘটনাবলী সাক্ষ্য দেয় যে শাসকগোষ্ঠী কতটা সমর্থন হারাতে শুরু করেছিল। আশিকাগা পরিবারের সদস্যদের মধ্যে গভীর বিভাজন বিরোধীদের শক্তিশালী করেছিল। মুরোমাচি শাসনের উভয় স্তম্ভ, তাদায়োশি এবং তাকাউজি, তাদের নিজস্ব এজেন্ডা চাপিয়ে দেওয়ার জন্য দক্ষিণ দরবারে টোকেন জমা দিয়েছিলেন: তাদায়োশি কো ভাইদের ধ্বংস করার ইচ্ছায় এবং তাদায়োশিকে পরাজিত করার আকাঙ্ক্ষায় তাকাউজি। হাস্যকরভাবে, যদিও দক্ষিণ কোর্ট শত্রু ছিল, শাসক সদস্যরা একে অপরকে আক্রমণ করার ন্যায্যতা হিসাবে এটি ব্যবহার করেছিল।
=== প্রভাব ===
এই ঘটনার অন্যতম প্রধান প্রভাব ছিল দক্ষিণ দরবারের যুদ্ধের প্রচেষ্টাকে পুনরুজ্জীবিত করা। অনেকাংশে এই নতুন আক্রমণাত্মক মুরোমাচি শাসনের টার্নকোটদের দ্বারা সম্ভব হয়েছিল। কামাকুরায় তাকাউজির বিরুদ্ধে পরিচালিত ১৩৫২ সালের সাম্রাজ্যবাদী আক্রমণ তাদায়োশির প্রাক্তন অনুসারীদের বিপুল সংখ্যক দ্বারা সম্ভব হয়েছিল যারা সাম্রাজ্যবাদী নেতা নিত্তা যোশিমুনের সমর্থক হয়েছিলেন। ১৩৫৩ সালে কিয়োটোর বিরুদ্ধে সাম্রাজ্যবাদী আক্রমণ সম্ভব হয়েছিল শুগো প্রভু ইয়ামানা টোকিউজির দলত্যাগের মাধ্যমে। তাদায়োশির দত্তক পুত্র আশিকাগা তাদাফুয়ু ছিলেন দলত্যাগের অসামান্য উদাহরণ: ১৩৫৩ এবং ১৩৫৪ সালে কিয়োটোর বিরুদ্ধে সাম্রাজ্যবাদী আক্রমণের সময় তিনি দক্ষিণ দরবারের পশ্চিমা সেনাবাহিনীর নেতা হয়েছিলেন।
=== শুগো প্রভুদের উত্থান ===
এই যুগের উত্থান-পতন বুঝতে হলে আমাদের তখন শোগুন-শুগো প্রভু সম্পর্কের উদাহরণের দিকে ফিরে যেতে হবে। নানবোকু-চো যুগের বৈশিষ্ট্যযুক্ত প্রতিযোগিতামূলক আনুগত্য বিভিন্ন স্তরে খেলা হয়েছিল। একবারে আমরা মোরির মতো স্থানীয় সামুরাই পরিবারগুলোর দলত্যাগ দেখতে পাই - ভয়াবহ বিভাজনকারী কানো ঘটনার সময় অস্বাভাবিক নয়। উচ্চতর স্তরে, শুগো প্রভুরা চতুর্দশ শতাব্দীর শেষার্ধ পর্যন্ত বিপজ্জনকভাবে স্বাধীন পদ্ধতিতে কাজ চালিয়ে যান।
আশিকাগা শোগুন তাকাউজি পশ্চিম ও মধ্য জাপানের বিভিন্ন প্রদেশে শাখা পরিবারের সদস্যদের শুগো প্রভু হিসাবে নিয়োগ করেছিলেন। শুগো গভর্নর হিসাবে কাজ করেছিলেন এবং শাসন কেন্দ্র এবং পেরিফেরির মধ্যে মধ্যস্থতার দায়িত্ব পালন করেছিলেন। স্থানীয় গভর্নর এবং তাদের নিজস্ব অধিকারে প্রভু হিসাবে, তারা প্রদেশগুলোতে শাসনের কর্তৃত্বের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন। তারা প্রদেশব্যাপী নিয়োগের কারণে সামুরাই হাউসম্যানের চেয়ে অনেক বেশি কর্তৃত্ব অর্জন করেছিল, একক এস্টেটে সীমাবদ্ধ ছিল না। এখানে আমরা মুরোমাচি যুগের প্রথম দিকে আশিকাগা শোগুনের সাথে তাদের সম্পর্কের দিকে নজর দেব।
শুগো নিয়োগের সাফল্য আত্মীয়তার বন্ধনের দিকে নয়, বরং অন্যান্য কারণের মাধ্যমে তারা শাসনের সাথে কতটা ভালভাবে আবদ্ধ ছিল তার উপর নির্ভর করে। কামাকুরা আমল থেকে যোদ্ধা পরিবারগুলো মস্তকপদ অধিকার (সোরিও) ব্যবহার করে চিহ্নিত করা হয়েছিল,খানে শাখা পরিবারগুলোর উপর নেতৃত্ব দেওয়া হয়েছিল মূল পরিবারের নেত্রী. যাইহোক, মস্তকপদ অধিকারগুলো অত্যন্ত অস্থির ছিল কারণ শাখা পরিবারগুলো প্রায়শই তাদের নিজস্ব স্বাধীনতা দাবি করেছিল, বিশেষত নতুন প্রজন্ম আত্মীয়তার বন্ধনকে হ্রাস করার জন্য আবির্ভূত হয়েছিল (মাস ১৯৮৯: ১১৯)।
সেদিনের প্রয়োজনীয়তাগুলো শুগো পদে নিযুক্ত ব্যক্তিদের দ্বারা সামরিক দক্ষতার সফল ব্যবহারের আহ্বান জানিয়েছিল। আশিকাগা শোগুন এবং স্থানীয় সামুরাইয়ের মধ্যে করদ সম্পর্কের মতো, শোগুন এবং শুগো প্রভুদের মধ্যে বন্ধন একই অর্থে মধ্যস্থতাকারী ছিল: প্রতিযোগিতামূলক আনুগত্যের জগতে, আশিকাগা শোগুনরা শুগো পোস্টগুলোতে যোদ্ধাদের নিয়োগ দিয়ে এই পুরুষদের নিজের আরও কাছাকাছি বেঁধে রাখার চেষ্টা করেছিল। সফল জেনারেলরা, যারা একই সাথে শাখা পরিবারের প্রধান ছিলেন যারা তাকাউজির বিদ্রোহের সাথে তাদের ভাগ্যে নিক্ষেপ করেছিলেন, তারাই প্রায়শই এই পদে পুরস্কৃত হন (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ২৩)। তাদের শাসকগোষ্ঠীর সাথে বেঁধে না রাখার মূল্য ছিল তাদের সমর্থন হারানো, এবং শাসন থেকে তাদের স্বাধীনতাকে উত্সাহিত করা।
শুগো পদে নিযুক্ত আশিকাগা শাখা পরিবারগুলোর মধ্যে হোসোকাওয়া, ইয়ামানা, ইমাগাওয়া, হাতাকেয়ামা, নিকি, কিরা, শিবা, ইশিদো এবং ইশিকি পরিবার অন্তর্ভুক্ত ছিল (পাপিনোট ১৯৭২: ২৭)। নির্দিষ্ট প্রদেশগুলোতে, আশিকাগা মূল শুগো পরিবারগুলোকে স্থানচ্যুত করতে ব্যর্থ হয়েছিল: কেন্দ্রীয় প্রদেশগুলোতে সাসাকি, তোগাশি, তাকেদা এবং ওগাসাওয়ারা এবং কিউশুতে শিমাজু, ওটোমো এবং শোনি (আর্নেসেন ১৯৭৯: ৬০)। মধ্য ও পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশগুলোতে প্রায় অর্ধেক নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত। সময় কান্নো ঘটনা, নতুন নিয়োগপ্রাপ্তদের সাথে আশিকাগা হেডশিপ (সোরিও) সম্পর্ক এই শুগোকে শাসনের প্রতি সরাসরি বিদ্রোহ থেকে মোটেও আটকাতে পারেনি। প্রকৃতপক্ষে, শুগো প্রভুদের তুলনায় এই সময়কালে শাসনের জবরদস্তিমূলক প্রতিষ্ঠানগুলোর শোচনীয়ভাবে অভাব ছিল।
শুগো প্রভুরা যা খুশি তা করতে বাধা দিয়েছিল তা হলো নিয়োগের ক্ষীণ যোগসূত্র, বিশেষত নতুন নিয়োগপ্রাপ্তরা যারা তাকাউজির সাথে আবির্ভূত হয়েছিল - শাসনের সাথে তাদের সংযোগ বজায় রাখার জন্য তাদের একটি স্বার্থান্বেষী স্বার্থ ছিল, যতক্ষণ না তারা তখনও প্রদেশগুলোতে তাদের ক্ষমতা তৈরি করতে পারেনি। যে প্রাদেশিক পরিবারগুলো কামাকুরা আমলে ক্ষমতা অর্জন করেছিল, যেমন সুও এবং নাগাতো প্রদেশের ওচি এবং সাতসুমা প্রদেশের শিমাজু, তারা তাদের নিজস্ব অধিকারে প্রভু ছিল এবং এইভাবে, শাসন এবং তাদের শুগো উপাধির উপর কম নির্ভরশীল ছিল।
১৩৭২ এর পর শুগো প্রভুদের মুরোমাচি শাসনের জন্য কর (তানসেন) সংগ্রহের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। এই করগুলো অভিজাত থেকে শুরু করে সামুরাই পর্যন্ত জমির মালিকদের প্রতিটি শ্রেণীর উপর আঘাত করে। মধ্যস্থতাকারী হিসাবে, শুগো প্রতিটি পৃথক জমির মালিকের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় করের পরিমাণ বাড়িয়ে লাভ করেছিল (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ৭৫)। এই তারিখের মধ্যে, তারা গভর্নর হিসাবে অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছিল এবং তাই তাদের একটি নতুন শাসন কেন্দ্রিক কর তদারকির অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।
=== শুগো সিভিল ফাংশন এবং শুগো উইকের ব্যবহার ===
যা ফোকাসে আসে তা হলো শুগো প্রভু দ্বারা সিভিল গভর্নরের অফিসের ধীরে ধীরে কিন্তু অবিচলিত দখল এবং সামন্ততান্ত্রিক বন্ধনকে কার্যকর করার জন্য এই অবস্থানের ব্যবহার। শুগো পূর্ববর্তী গভর্নরদের মতো তার ঐতিহ্যবাহী প্রশাসনিক দক্ষতার মাধ্যমে নয়, বরং নানবোকু-চো যুদ্ধের সময় এস্টেটের জমি দখলকারী সামুরাইয়ের সাথে করদের মধ্যস্থতাকারী সম্পর্কের মাধ্যমে এবং সরকারী জমিতে বসবাসকারী সামুরাইদের সাথে (কোকুগারিও) কার্যকর করতে সক্ষম হয়েছিল। শুগো প্রভুরা উভয়ই গভর্নর ছিলেন, মুরোমাচি শাসন কর্তৃক তাদের দেওয়া কিছু বৈধ দায়িত্ব ছিল এবং সামন্ত প্রভুরা সামন্তদের প্ররোচিত করার চেষ্টা করেছিলেন।
নানবোকু-চো যুদ্ধ অভিজাতদের প্রতি নির্দয় ছিল যাদের জমিগুলো পূর্ববর্তী সামুরাই স্টুয়ার্ডরা সরাসরি নিয়েছিল এবং অবৈধভাবে ব্যক্তিগত হোল্ডিংয়ে (চিগিও) রূপান্তরিত হয়েছিল। এই বৈপ্লবিক বিকাশ পরবর্তীকালে সংঘটিত এস্টেট ব্যবস্থার সম্পূর্ণ তরলকরণের অগ্রদূত ছিল। শুগো প্রভুরাও তাদের উপর সামুরাই চাপিয়ে তাদের নিয়ন্ত্রণাধীন প্রাক্তন এস্টেটগুলো জড়ো করে এই পুরো জমি দখলে অংশ নিয়েছিল (নাগাহারা ১৯৮২: ১২)। হাস্যকরভাবে, যুদ্ধের উচ্চতায় জমিতে সামুরাই দখলদারিত্ব দ্বারা সৃষ্ট এই আইনহীন পরিস্থিতি ক্ষুদ্র সামুরাই থেকে কোকুজিন পর্যন্ত সমস্ত জমিদার স্বার্থের জন্য সুরক্ষা সমস্যা সৃষ্টি করেছিল এবং স্থানীয় সামুরাইদের মধ্যে করদ আকারে শুগো প্রভুদের সাথে মধ্যস্থতাকারী সম্পর্ক অর্জনের জন্য আরও প্রেরণা সরবরাহ করেছিল। শুগোর সাথে নিজেকে বেঁধে রেখে, তারা প্রদেশের এমন এক ব্যক্তির সাথে নিজেকে মিত্রতা করতে সক্ষম হয়েছিল যিনি একরকম স্থানীয় সুরক্ষা সরবরাহ করতে পারেন।
শুগো লর্ড এবং কোকুজিনের মধ্যে করদ সম্পর্ক প্রায়শই এস্টেটগুলোতে শুগো চুক্তি (শুগো-উকে) নামে পরিচিত একটি ত্রিমুখী মধ্যস্থতাকারী টাই হয়: একজন অভিজাত মালিক রাজধানীতে বসবাসকারী মালিককে সরবরাহ করা গ্যারান্টিযুক্ত বছরের শেষের (নেঙ্গু) আয়ের বিনিময়ে শুগোকে তার এস্টেট পরিচালনার দায়িত্ব দিতেন। শুগো প্রভু তখন ম্যানেজার হিসাবে সেই এস্টেটগুলোতে করদ রাজ্য সামুরাই (হিকান) নিযুক্ত করেছিলেন (মিয়াগাওয়া ১৯৭৭: ৯২; মিয়াগাওয়া ১৯৭৭: ৯২)। নাগাহারা ১৯৮২: ১৪)। অনুমিতভাবে, শুগো চুক্তিগুলো শুগো প্রভু, সামুরাই কোকুজিন এবং আভিজাত্যের স্বার্থকে একত্রে বেঁধেছিল। তবে স্বার্থের সমতার ভিত্তিতে ছিল না। তারা সত্যই এস্টেটগুলোতে শুগো দখলের যন্ত্র ছিল। চুক্তির মধ্যস্থতাকারী প্রকৃতি সম্পর্কে কোনও সন্দেহ নেই। কারণ এটি তিনটি গোষ্ঠীর স্বার্থকে সংযুক্ত করেছিল। তবে এটি শুগো প্রভুর পক্ষে সবচেয়ে অনুকূল ছিল যিনি এই যন্ত্রটি স্থানীয় সামুরাই (কোকুজিন) এর সাথে করদের সম্পর্ক প্রসারিত করতে এবং একই সাথে আভিজাত্যের ব্যয়ে তার জমি বেস প্রসারিত করতে ব্যবহার করেছিলেন। শুগো চুক্তি (শুগো-উকে) ১৩৪০ এর দশকে আবির্ভূত হয়েছিল এবং ধীরে ধীরে ব্যাপক হয়ে ওঠে (উইন্টারস্টিন ১৯৭৪: ২১১)। এই চুক্তিটি কীভাবে পরিচালিত হয়েছিল তা দেখে, এটি স্পষ্ট যে এস্টেট সিস্টেম (শোয়েন) যোদ্ধাদের দ্বারা কতটা দখল করা হয়েছিল এবং তার পূর্ববর্তী জীবনের একটি কঙ্কালে পরিণত হয়েছিল। শুগো প্রভুরা সামরিক সেবার বিনিময়ে সামুরাইকে এস্টেটের পরিচালনা দিয়েছিলেন, কিন্তু আভিজাত্যকে এস্টেটের সমস্ত ক্ষমতা ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছিল, তিনি যেখানে থাকতেন সেখানে বছরের শেষের (নেঙ্গু) আয়ের অংশের জন্য অপেক্ষা করতে হ্রাস পেয়েছিলেন। অভিজাত তার নিজের আয়ের অংশের গ্যারান্টি দেওয়ার জন্য কর অধ্যক্ষ (নেঙ্গু দাইকান) নিয়োগ করেছিলেন। তবে তাকে নিয়োগের জন্য অত্যধিক পরিমাণ অর্থ প্রদান করতে হয়েছিল। কোকুজিন এবং শুগো প্রভু দ্বারা ইতিমধ্যে হ্রাস করা অভিজাত আয় আরও হ্রাস পেয়েছিল যখন ট্যাক্স ওভারসিয়ার তার অর্ধেক নিয়েছিল। মহৎ আয়ের এই হ্রাস শুগো এবং সামুরাই উভয়ের পক্ষ থেকে ধীরে ধীরে অর্থ প্রদান না করার ফলাফল ছিল; শেষ ব্যবস্থা হিসাবে, অভিজাতরা যোদ্ধাদের উপর চাপ দেওয়ার উপায় হিসাবে মহাজন (ডিওএসও) এবং আমলাদের (বুগিওনিন) ভাড়া করেছিল। তবে এই প্রতিকারটিও দাগযুক্ত ফলাফল তৈরি করেছিল কারণ ভাড়াটে হাতগুলো যোদ্ধাদের সাথে আলোচনা করতে হয়েছিল (নাগাহারা ১৯৮২: ১৬)।
=== শুগো এবং পাবলিক ল্যান্ডস (কোকুগারিও) ===
সম্প্রতি অবধি একটি বৃহত্তর অনুপস্থিত চিত্র হলো মুরোমাচি আমলে সরকারী জমিগুলোর ভাগ্য (কোকুগারিও) এবং তাদের উপর তাদের দখলদারিত্বে শুগো প্রভুদের ভূমিকা। হেইয়ান আমলে সরকারী জমি (কোকুগারিও) এস্টেটগুলোর ব্যক্তিগত জমি (শোয়েন) থেকে পৃথক ছিল। কারণ পরবর্তীকালে রাষ্ট্রীয় কর থেকে মুক্ত ছিল। বেসরকারী এস্টেটের উত্থানের আগে, একমাত্র ধরণের জমি ছিল পুরানো নাগরিক প্রশাসনের অধীনে রক্ষণাবেক্ষণ করা সরকারী জমি। হেইয়ান আমলে শোয়েন নামে পরিচিত বেসরকারী এস্টেটগুলোর উত্থানের সাথে সাথে সরকারী জমিগুলো কোনওভাবেই অদৃশ্য হয়ে যায়নি: বিশদভাবে, সরকারী জমিগুলো ব্যক্তিগত এস্টেট থেকে খুব কম আলাদা ছিল। দুটিরই মালিক ছিলেন অনুপস্থিত মালিকরা। তারা কেবল প্রশাসনের দিক থেকে পৃথক ছিল: বেসরকারী এস্টেটগুলো সরাসরি অভিজাত কর্মকর্তাদের দ্বারা পরিচালিত হত, অন্যদিকে, সরকারী জমিগুলো প্রাক্তনদের পক্ষে সিভিল গভর্নরদের (কোকুগা বা কোকুশি) দ্বারা পরিচালিত হত (আর্নেসেন ১৯৭৯: ৯৪)। কামাকুরা আমলে, সরকারী জমিগুলো বিভিন্ন জমির মালিকদের ব্যক্তিগত হোল্ডিং (চিগিও) হিসাবে মালিকানাধীন ছিল। এই জমির মালিকদের মধ্যে অভিজাত বাড়ি, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান এবং যোদ্ধা অন্তর্ভুক্ত ছিল। কান্তো এবং উত্তর-পূর্বের পুরো অঞ্চল যোদ্ধাদের দখলে ছিল এস্টেট ম্যানেজার হিসাবে নয়, ব্যক্তিগত হোল্ডিং হিসাবে (নাগাহারা ১৯৮২: ১৫): কান্টো প্রদেশগুলো কামাকুরা শাসনকে ব্যক্তিগত জমি (চিগিওকোকু) হিসাবে দেওয়া হয়েছিল। আশিকাগা শাসন এই জমিগুলো উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছিল এবং ভাগ্যক্রমে তাদের উপরে শুগো প্রভুদের রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল (আর্নেসেন ১৯৭৯: ৯৪)।
সিভিল গভর্নর অফিসের (কোকুশি) অন্যতম প্রধান কাজ ছিল প্রদেশগুলোতে ফৌজদারি বিচারের তদারকি এবং সরকারী জমির মধ্যে ব্যক্তিগত হোল্ডিংগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ (কোকুগারিও)। তবে কামাকুরা শাসনের আবির্ভাবের সাথে তার কার্যকারিতা পরিবর্তন হতে শুরু করে (হল ১৯৬৬: ২০২-০৩)। কামাকুরা কর্তৃক শুগো কনস্টেবল নিয়োগের সাথে সাথে প্রদেশগুলোর মধ্যে সমস্ত ফৌজদারি এখতিয়ার তার হাতে চলে যায়। তবে সিভিল গভর্নর (কোকুশি) সিভিল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (রিটসুরিও) মূল কর্মকর্তা হিসাবে রয়ে গেলেন, যিনি নিশ্চিত করেছিলেন যে ব্যক্তিগত হোল্ডিং থেকে ভাড়া কিয়োটো এবং ইয়ামাশিরো প্রদেশের অনুপস্থিত অভিজাত এবং ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে (জিশা হোনজো) পৌঁছেছে। তাঁর তত্ত্বাবধানে যোদ্ধাদের ব্যক্তিগত হোল্ডিংগুলো অন্তর্ভুক্ত ছিল না, সাধারণত কানটো এবং আরও উত্তরে কেন্দ্রীভূত ছিল।
নানবোকু-চো যুদ্ধের প্রাদুর্ভাবের সাথে সাথে নাগরিক প্রশাসন (ঋতসুরিও) দ্রুত ভেঙে পড়তে শুরু করে এবং শুগো প্রভুরা, যাদের কামাকুরা আমলে প্রাদেশিক শাসনে সামান্য ভূমিকা ছিল, তারা সিভিল গভর্নরের দায়িত্ব দখল করতে আবির্ভূত হয়েছিল। এটি প্রতিটি প্রদেশে তাত্ক্ষণিকভাবে ঘটেনি। তবে শুগো প্রভুরা সরকারী জমিতে সত্যিকারের গভর্নর না হওয়া পর্যন্ত কোনও বাধা ছাড়াই ঘটেছিল (কোকুগারিও)। তারা সরকারী জমির মধ্যে ব্যক্তিগত হোল্ডিংয়ের তদারকি করার সাথে সাথে তারা বিভিন্ন ধরণের জমির মালিকদের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করেছিল: অভিজাত, বিভিন্ন ধরণের সামুরাই (কোকুজিন, জিজামুরাই) এবং ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের সাথে। তারা এই জমিগুলোতে তাদের নিজস্ব অনুসারীদের চাপিয়ে দিয়েছিল এবং সামরিক সেবার বিনিময়ে বিদ্যমান সামুরাইয়ের জমিগুলো পুনরায় নিশ্চিত করেছিল এবং অনুমানযোগ্য ফলাফলের সাথে অভিজাতদের সাথে শুগো চুক্তি প্রতিষ্ঠা করেছিল (নাগাহারা ১৯৮২: ১৫)। এস্টেটগুলোতে স্থানীয় সামুরাই (কোকুজিন) এর সাথে করদ সম্পর্কের পাশাপাশি, সরকারী জমিতে করদ বন্ধন একটি মূল সংস্থান হয়ে ওঠে যা শুগো প্রভুদের শক্তি বাড়িয়ে তোলে।
তদুপরি, ১৩৪৬ সালে মুরোমাচি শাসনের উত্থানের দশ বছর পর শোগুন শুগোকে এস্টেটগুলোতে ফসল চুরির মামলাগুলো বিচার করার এবং সাম্রাজ্যবাদী বাহিনীর কাছ থেকে নেওয়া যোগ্য করদ রাজ্যগুলোর জমির অস্থায়ী নিয়োগ দেওয়ার অধিকার দিয়ে কর্তৃত্বকে বিকেন্দ্রীকরণ করেছিল (আর্নেসেন ১৯৭৯: ৬৫)। এটি তাৎপর্যপূর্ণ ছিল, যতক্ষণ না কামাকুরা এখতিয়ারের ঐতিহ্যবাহী অঞ্চলগুলো মুরোমাচি শাসন দ্বারা "ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল"। পূর্বে, ফসল চুরি বা জমি বরাদ্দের সমস্ত মামলা কঠোরভাবে কামাকুরা প্রশাসনের অধীনে ছিল। এছাড়াও, প্রায় এই সময়ে, সাম্রাজ্যবাদী শক্তি তাদের সবচেয়ে খারাপ পরাজয়ের সম্মুখীন হচ্ছিল, শত্রুদের জমি বাজেয়াপ্ত ও পুনর্নির্ধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দিচ্ছিল। শুগো প্রভুদের এই নতুন এখতিয়ার দেওয়ার মাধ্যমে এটি তাদের নির্ধারিত প্রদেশগুলোর গভর্নর হিসাবে তাদের অবস্থানকে আরও বাড়িয়ে তোলে।
=== বৈধতা এবং ক্ষমতার সীমাবদ্ধতা ===
এই দ্বৈত ক্ষমতায় শুগো প্রভুদের গভর্নর হিসাবে পরিচালিত জমির জন্য প্রদেশগুলোতে অন্যান্য জমি সামুরাইয়ের সাথে প্রতিযোগিতা করতে হয়েছিল। তবে ব্যক্তিগতভাবে মালিকানাধীন ছিল না। অভিজাত মালিকদের মতো, একক শুগো প্রভু বেশ কয়েকটি প্রদেশের বিস্তৃত অঞ্চলে জমির মালিক ছিলেন। তাঁর ক্ষমতা ষোড়শ শতাব্দীর আঞ্চলিক প্রভুদের (দাইমিও) মতো জমির ব্যক্তিগত মালিকানার উপর নির্মিত হয়নি। তবে করদের বন্ধনের মাধ্যমে স্থানীয় সামুরাইয়ের আনুগত্যের উপর নির্মিত হয়েছিল (মিয়াগাওয়া ১৯৭৭: ৯১-৯৩)। ষোড়শ শতাব্দীর আঞ্চলিক প্রভুদের দ্বারা অনেক বেশি জবরদস্তিমূলক সম্ভাবনা প্রয়োগ করা হয়েছিল। কারণ তাদের আশেপাশের জমিগুলোর মালিকানার উপর ভিত্তি করে তাদের করদের বন্ধন ছিল: মালিক হিসাবে তারা উপযুক্ত হিসাবে জমিটি ছেড়ে দিতে পারে, খুব বেশি ঝামেলা ছাড়াই অবাধ্য করদ রাজ্যগুলোর থেকে মুক্তি পেতে পারে। চতুর্দশ শতাব্দীতে, শুগো প্রভুরা অঞ্চলটির প্রদেশব্যাপী মালিকানা দাবি করতে পারেনি: প্রথমত, ব্যক্তিগত প্রাদেশিক মালিকানার ধারণাটি তখনও অনুন্নত ছিল; দ্বিতীয়ত, তারা কখনই প্রচুর পরিমাণে ব্যক্তিগত সম্পত্তি সংগ্রহ করেনি, বরং তাদের সামন্তদের দখল করার জন্য এস্টেট জমি এবং সরকারী জমির ঐতিহ্যবাহী কাঠামো ব্যবহারের উপর নির্ভর করেছিল। এটি চতুর্দশ শতাব্দীর কেন্দ্রীয় রহস্য: এস্টেট সিস্টেমের বিভাজন এবং বিলুপ্তি এবং নাগরিক প্রশাসনের অন্তর্ধান ব্যক্তিগত জমির বিস্তারের সাথে মিলে যায়। তবে এস্টেট সিস্টেমের বাহ্যিক কাঠামো (শোয়েন) এবং পাবলিক ল্যান্ডস সিস্টেম (কোকুগারিও), যদিও বিষয়বস্তু বিহীন, তবুও রয়ে গেছে (কিয়ারস্টেড ১৯৮৫: ৩১১-১৪)। বিভাজনের পরিপ্রেক্ষিতে, এটি ছিল শুগো করদের মধ্যস্থতাকারী সম্পর্ক এবং প্রাদেশিক গভর্নর হিসাবে শুগোর ভূমিকা। এটি কিছুটা হলেও ভিন্ন শক্তিকে সংহত করতে সহায়তা করেছিল।
যোদ্ধাদের হাতে যে অবক্ষয়ের শিকার হয়েছিল তার পরিপ্রেক্ষিতে এস্টেট ব্যবস্থা কীভাবে আদৌ বেঁচে ছিল তা আশ্চর্যের বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। উপরে বর্ণিত ক্ষয়িষ্ণু আকারে টিকে থাকার দুটি কারণ ছিল: এক, মুরোমাচি শাসনের অস্তিত্ব ছিল যা যোদ্ধা আক্রমণের মুখে ধারাবাহিকভাবে এস্টেট ব্যবস্থাকে সমর্থন করেছিল (নাগাহারা ১৯৮২: ১৬)। দ্বিতীয় বিভাগে বর্ণিত হিসাবে, আশিকাগা তাকাউজি নিশ্চিত করার চেষ্টা করেছিলেন যে অর্ধেক করের পরিমাপ দ্বারা যোদ্ধাদের উপর নির্ধারিত সীমা অতিক্রম করা হয়নি। তবে তিনি শুগো চুক্তির মতো ব্যবস্থাগুলো এড়াতে ব্যর্থ হয়েছিলেন যা সত্যই তার সম্পত্তি এবং এর আয়ের আভিজাত্যকে অস্বীকার করেছিল। অর্ধ করের পরিমাপ নিজেই সামুরাইয়ের হাতে সম্পত্তির সরাসরি দখল থেকে আভিজাত্যকে রক্ষা করেনি, এমনকি যদি পরবর্তীকালে অর্ধ কর আইন পূরণের জন্য একটি অংশ হস্তান্তর করার প্রয়োজন হয়। শেষ পর্যন্ত, মুরোমাচি প্রশাসনই নিশ্চিত করেছিল যে সামুরাইরা তাদের আয়ের অংশ অভিজাতদের প্রদান করে।
এস্টেট ব্যবস্থার টিকে থাকার পেছনে অন্য কারণটি অভিজাত শ্রেণীর বৈধতার সাথে সংযুক্ত ছিল। এস্টেটে বসবাসকারী কৃষকদের মধ্যে যোদ্ধাদের উত্থান জনপ্রিয় ছিল না। অভিজাতদের আরও কোমল হাত ছিল সেই হাতটিও লোকেরা শ্রদ্ধা করতে এসেছিল। জনগণের মধ্যে সরাসরি অবাধ্যতা ও বিদ্রোহ রোধ করা শুগো প্রভু এবং কোকুজিন উভয়ই এস্টেট কাঠামোর বাহ্যিক রূপকে সম্মান জানাতে আসার একটি কারণ ছিল। কৃষকদের চোখে তাদের শাসনকে বৈধ করার জন্য, যোদ্ধারা এস্টেট কাঠামোর কাঠামোর মধ্যে কাজ করেছিল, যদিও এই কাঠামোটি পুরোপুরি পরিবর্তিত হয়েছিল (নাগাহারা ১৯৮২: ১৬-৭)। একটি মামলা তৈরি করা যেতে পারে যে ইয়ামাশিরো প্রদেশের বাইরে এস্টেট ব্যবস্থা এমন পরিমাণে ক্ষয়প্রাপ্ত হয়েছিল, প্রদেশগুলোতে অভিজাতদের কোনও প্রভাব অবশিষ্ট ছিল না।
== আশিকাগা শক্তি একীকরণ: ১৩৬০-১৩৭০ ==
১৩৫৮ সালে তাকাউজির মৃত্যুর পর শোগুনতন্ত্র তার পুত্রের হাতে চলে যায় যোশিয়াকিরা। তাঁর নেতৃত্বে, এবং কানরেই হোসোকাওয়া ইয়োরিয়ুকির নেতৃত্বে, শাসনব্যবস্থা ১৩৬০ এবং ৭০ এর দশকে শুগো প্রভুদের সংহত করতে সফল হয়েছিল: আশিকাগার শুগো শাখা পরিবারগুলো সরকারী আমলাতন্ত্রের মধ্যে নিযুক্ত ছিল। আমি নিম্নলিখিত পয়েন্টগুলো কভার করব: ১) কানরেই কাউন্সিল সিস্টেমের উত্থান, এবং মধ্যস্থতাকারী যন্ত্র হিসাবে বোর্ড অফ রিটেইনার্স যা শুগো প্রভুদের শাসনের সাথে আরও দৃঢ়ভাবে আবদ্ধ করেছিল; ২) শোগুনাল আধিপত্যের আকারে একটি জবরদস্তিমূলক যন্ত্রের উত্থান যা ভ্রান্ত শুগো প্রভুদের শৃঙ্খলাবদ্ধ করতে ব্যবহৃত হয়েছিল এবং দক্ষিণ দরবারের বাহিনীর চূড়ান্ত পরাজয়; ৩) দরবারের র্যাংকিং সিস্টেমের ব্যবহার একটি মধ্যস্থতাকারী যন্ত্র হিসাবে যা শাসনকে রাজকীয় দরবারের সাথে আবদ্ধ করেছিল এবং এর সাথে সম্পর্কিত ১৩৬৮ সালের হানজেই অর্ধ-কর ডিক্রি এবং এর প্রভাব। ৪) কিউশু ও কানটো অঞ্চলে মুরোমাচি কর্তৃপক্ষের সীমাবদ্ধতা।
শাসনব্যবস্থাকে পুনর্গঠন করে কানো ঘটনার ক্ষত নিরাময়ের জন্য শোগুন যোশিয়াকিরার উপর ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। ১৩৬২ সালে তিনি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেছিলেন যা শুগো প্রভুদের শাসনের সাথে সংযুক্ত করেছিল: কানরেই কাউন্সিল সিস্টেম। এই ব্যবস্থাটি দুটি উপাদান নিয়ে গঠিত হয়েছিল, কানরেই অফিস এবং সিনিয়র করদ রাজ্য কাউন্সিল (জুশিন কাইগি) যার উপর কানরেই সভাপতিত্ব করেছিলেন। কানরেই কাউন্সিল ব্যবস্থায় সবচেয়ে শক্তিশালী শুগো পরিবারকে সরাসরি মধ্য ও পশ্চিম জাপান শাসনে অংশগ্রহণকারী হিসাবে জড়িত করা হয়েছিল। শোগুনের পাশাপাশি, কানরেই কাউন্সিল মুরোমাচি শাসনের হৃদয় গঠনের জন্য এমন পরিমাণে আবির্ভূত হয়েছিল, ইতিহাসবিদরা এই শাসনকে বাকুফু-শুগো সিস্টেম হিসাবে চিহ্নিত করতে এসেছেন (তনুমা ১৯৭৬: ১২; তানুমা ১৯৭৬: ১২)। হ্যারিংটন ১৯৮৫: ৬৭)।
=== কানরেই কাউন্সিল এবং প্রতিষ্ঠানের পুনর্গঠন ===
কানরেই কাউন্সিল ব্যবস্থা মধ্যস্থতাকারী ছিল। কারণ এটি আমলাতান্ত্রিক শাসনের সামরিক দিককে একত্রিত করেছিল। কান্নো ঘটনার সাথে উদ্ভূত দ্বন্দ্বটি তাকাউজি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত সামরিক করদ রাজ্য প্রতিষ্ঠান এবং তাদায়োশি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত আমলাতান্ত্রিক-বিচারিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে বিচ্ছেদ এবং সংঘর্ষের সাথে সম্পর্কিত। কানরেই কাউন্সিল ব্যবস্থার উত্থানের সাথে সাথে প্রশাসনের সামরিক পক্ষের প্রতিনিধিত্বকারী শুগো প্রভুরা নীতি সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় হিসাবে আমলাতন্ত্রের সাথে দৃঢ়ভাবে আবদ্ধ ছিলেন।
কানরেই অফিস নিজেই শোগুনের সাথে শুগো প্রভুদের স্বার্থকে একত্রিত করে মধ্যস্থতার একটি ভাল উদাহরণ। কানরেইয়ের কাজ ছিল সিনিয়র করদ রাজ্য কাউন্সিল (জুশিন কাইগি) এবং শোগুনের মধ্যে মুখপাত্র হিসাবে কাজ করা, দুজনের মধ্যে মধ্যস্থতা করা (কাওয়াই ১৯৭৭: ৭০)। কানরেইয়ের দৈনন্দিন ভিত্তিতে শাসনের আমলাতান্ত্রিক উপাদানগুলো দেখার, পরামর্শ করা এবং কাউন্সিল এবং আমলাতন্ত্রের কাছে শোগুনাল আদেশগুলো প্রেরণ করাও দায়িত্ব ছিল। কান্রেই ধারাবাহিকভাবে চার প্রজন্মের মধ্যে তাকাউজির সাথে সম্পর্কিত তিনটি শুগো পরিবারের বংশগত গোষ্ঠী থেকে নির্বাচিত হয়েছিল (পাপিনোট ১৯৭২: ২৭): হোসোকাওয়া, হাতাকিয়ামা এবং শিবা। তিনটি পরিবার পালাক্রমে পদটি পূরণ করেছিল। তারা শাসকদের সর্বোচ্চ পদমর্যাদার শুগো পরিবার ছিল এবং কানরেইয়ের পদটি এর সমর্থনে তাদের স্বার্থকে বেঁধে রাখতে সহায়তা করেছিল।
কানরেই কাউন্সিল ব্যবস্থার অন্য উপাদানটি ছিল সিনিয়র করদ রাজ্য কাউন্সিল (জুশিন কাইগি)। কানরেই কাউন্সিলের সভাগুলোর সভাপতিত্ব করেছিলেন, কাউন্সিলের সিদ্ধান্তগুলো শোগুনকে রিলে করেছিলেন এবং শোগুন থেকে কাউন্সিলে আদেশ প্রেরণ করেছিলেন। এই ব্যবস্থায়, কাউন্সিল এবং শোগুনের মধ্যে পরামর্শের মাধ্যমে শাসন নীতি প্রণয়ন করা হয়েছিল, যদিও চূড়ান্ত সিদ্ধান্তগুলো পরবর্তীকালে নেওয়া হয়েছিল (কাওয়াই ১৯৭৭: ৭০-৭১; কাওয়াই ১৯৭৭: ৭০-৭১)। সাতো ১৯৭৭: ৪৮)। শুরুতে, কাউন্সিলটি তিনটি শুগো পরিবারের প্রধানদের সমন্বয়ে গঠিত হয়েছিল যাদের কাছ থেকে কানরেই নিয়মিত নির্বাচিত হয়েছিল এবং শক্তিশালী শুগো পরিবারের আরও চারটি প্রধান: ইয়ামানা, ইশিকি, আকামাতসু এবং কিয়োগোকু (ভার্লি ১৯৬৭: ২৭-৯)। শেষোক্ত দুটি পরিবার আশিকাগা পরিবারের সাথে সম্পর্কিত ছিল না। পরবর্তী কয়েক দশক ধরে ওচি, সাসাকি এবং টোকি পরিবারগুলোর নিয়োগের সাথে সম্পর্কহীন শুগো পরিবারগুলোকে কাউন্সিলে অন্তর্ভুক্ত করার এই প্রবণতা অব্যাহত ছিল। এই প্রবণতাটি ইঙ্গিত দেয় যে শক্তিশালী শুগো পরিবারগুলো, আত্মীয়তা নির্বিশেষে, সিনিয়র করদ রাজ্য কাউন্সিলের মধ্যস্থতাকারী প্রকৃতির মাধ্যমে শাসনের সাথে আবদ্ধ ছিল: শুগো প্রভু এবং শোগুনের মধ্যে দ্বন্দ্ব এবং সম্ভাব্য স্বার্থের দ্বন্দ্বকে শুগো প্রভুদের কাউন্সিলের মধ্যে আলোচনায় তাদের মতামত জানাতে দিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়া হয়েছিল। বোর্ড অফ রিটেইনার্স (সামুরাইডোকোরো) চতুর্দশ শতাব্দীতে ইমাগাওয়া (যিনি একটু পরে কাউন্সিলের সদস্য হয়েছিলেন), হোসোকাওয়া, হাতাকেয়ামা, শিবা এবং টোকির মধ্যে থেকে নির্বাচিত একজন সিনিয়র করদ রাজ্য কাউন্সিল সদস্যেরও নেতৃত্বে ছিলেন। কিয়োটোর রাজধানীতে পুলিশ কার্যাবলী এবং ফৌজদারি বিচার সম্পাদনের উপর বোর্ড অফ রিটেইনারদের দায়িত্ব ছিল (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ৮৮,১০৭)। অফিসধারী স্বয়ংক্রিয়ভাবে জাপানের সবচেয়ে ধনী এবং সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ ইয়ামাশিরো প্রদেশের উপর শুগো হয়ে ওঠে এবং শাসনের সদর দফতর এবং কিয়োটো শহর রক্ষার দায়িত্ব ছিল (ভার্লি ১৯৬৭: ৫৭)। পঞ্চদশ শতাব্দীর শুরুতে, চারটি শুগো পরিবারের মধ্যে থেকে অনুচর বোর্ডের প্রধান বেছে নেওয়া হয়েছিল: ইয়ামানা, আকামাতসু, কিয়োগোকু এবং ইশিকি। রিটেইনার্স বোর্ড কানরেই কাউন্সিল সিস্টেম যা করেছিল তা করেছিল: এটি শুগো প্রভুদের স্বার্থকে শাসনের সাথে সংযুক্ত করেছিল এবং এর ফলে তাদের মধ্যে সম্ভাব্য দ্বন্দ্বের মধ্যস্থতা করেছিল। শাসকগোষ্ঠীর সম্ভাব্য সংঘাতের উৎস শুগো প্রভুরা শাসকগোষ্ঠীর একটি প্রতিষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী হয়ে ওঠায় মধ্যস্থতাকারী ছিল।
সিনিয়র করদ রাজ্য কাউন্সিল এবং রিটেইনার্স বোর্ডে শুগোর অংশগ্রহণ পুনর্নির্মিত শাসনব্যবস্থায় তাদের অংশগ্রহণের আরও দুটি বিশিষ্ট উদাহরণ ছিল। এই অংশগ্রহণের গুরুত্বকে অবমূল্যায়ন করা যায় না: এই মধ্যস্থতাকারী যন্ত্রগুলো ব্যবহারের মাধ্যমেই আশিকাগা শোগুনরা তাদের নির্দেশনায় রাষ্ট্রকে কেন্দ্রীভূত করতে সক্ষম হয়েছিল। যেমনটি আমরা বারবার দেখব, মুরোমাচি সমাজের সমস্ত স্তরে নিয়োগের ব্যবস্থা হিসাবে হেডশিপ বন্ধন (সোরিও) আকারে আত্মীয়তা বড় হয়ে উঠেছে: এখানেও, সর্বোচ্চ অবস্থানের শুগো প্রভুরা বেশিরভাগই আশিকাগার শাখা পরিবার ছিল। যাইহোক, এই আত্মীয়তার বন্ধনগুলো আধা-স্বাধীন শুগো প্রভু এবং শাসকদের মধ্যে মধ্যস্থতার পথে খুব কমই কাজ করেছিল। বরং কানরেই কাউন্সিল ব্যবস্থার মাধ্যমে শাসন পরিচালনায় শুগো প্রভুদের কার্যকর অংশগ্রহণ ছিল যা তাদের স্বার্থকে শাসনের সাথে আগের চেয়ে আরও দৃঢ়ভাবে আবদ্ধ করেছিল।
=== আশিকাগা এবং শুগো জোটের উসে ===
১৩৬২ সালে দেশের দুটি সবচেয়ে শক্তিশালী শুগো ঘর, ওউচি এবং ইয়ামানা, এই শর্তে আশিকাগা শাসনের কাছে আত্মসমর্পণ করেছিল যে শোগুন তাদের নিজ নিজ প্রদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবে না (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ২৫)। পরবর্তীকালে, ইয়ামানা, যারা আশিকাগার সাথে সম্পর্কিত ছিল এবং ওউচি, যারা সম্পর্কিত ছিল না, সরকারী বিষয়ে ক্রমবর্ধমান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে শুরু করে। যাইহোক, কয়েক দশকের মধ্যে, উভয় শুগো ঘর শোগুনের ক্রোধের জন্য যথেষ্ট শক্তিশালী হয়ে ওঠে।
১৩৬৬ সালে প্রথম কানরেই অফিসধারীর পিতা, শিবা টাকাতসুনে, যিনি তার তেরো বছর বয়সী ছেলের উপর আসল ক্ষমতা রেখেছিলেন এবং যিনি শিবা পরিবারের সদস্যদের মূল সরকারী অফিসগুলোতে বসানোর ইঞ্জিনিয়ার করেছিলেন, তার ক্রমবর্ধমান শক্তি এবং অহংকারের কারণে বিশ্বাসঘাতক হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছিল (তিনি কানরেই পদ গ্রহণ করে অবমাননা বোধ করেছিলেন, তাই তার পরিবর্তে তিনি তার ছেলেকে নিয়োগ দিয়েছিলেন)। একটি গুরুত্বপূর্ণ শুগো পরিবারের বিরুদ্ধে শক্তির প্রথম প্রদর্শনে, যোশিয়াকিরা ইয়ামানা, সাসাকি, যোশিমি এবং টোকি শুগো প্রভুদের এচিজেন প্রদেশের শিবা আক্রমণ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। শিবা পরাজিত হয়েছিল এবং এচিজেনে তাদের অঞ্চল পুনরায় বিতরণ করা হয়েছিল (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ৯২)। ১৩৬৭ সালে শিবা পরিবারকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর হোসোকাওয়া ইয়োরিয়ুকিকে কানরেই পদের উত্তরসূরি হিসাবে নামকরণ করা হয়েছিল: শোগুন যোশিয়াকিরার মৃত্যুর পর ইয়োরিয়ুকি তরুণ শোগুন যোশিমিতসুর সংখ্যালঘু থাকাকালীন শাসনকে আরও দৃঢ় ভিত্তির উপর স্থাপন করতে সক্ষম হন। ১৩৬৬ সালে তাদের নিজস্ব সহকর্মীদের একজনকে আক্রমণ করার জন্য শুগো প্রভুদের ব্যবহার, শুগো প্রভুদের তুলনায় শোগুনের ক্রমবর্ধমান কর্তৃত্ব এবং বয়সের সাথে বাড়তে থাকা জবরদস্তির একটি কার্যকর যন্ত্রের উত্থানের দিকে ইঙ্গিত করে। তখন পর্যন্ত, আমরা সত্যিকারের শৃঙ্খলাবদ্ধ ব্যবস্থার কার্যত অস্তিত্বহীনতা দেখেছি যা শোগুন তার শুগো প্রভুদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে পারে। শোগুন এবং শুগো প্রভুদের মধ্যে উদ্ভূত নতুন মধ্যস্থতাকারী যন্ত্রগুলোর সাথে একত্রে, শোগুন-শুগো জোটের মাধ্যমে এক শুগো প্রভুকে অন্যের বিরুদ্ধে দাঁড় করানোর নতুন জবরদস্তিমূলক যন্ত্রটি শোগুনের হাতকে শক্তিশালী করেছিল।
১৩৬২ সালে কিয়োটোর বিরুদ্ধে সর্বশেষ দক্ষিণ দরবারের আক্রমণ আশিকাগাকে রাজধানী থেকে সরে আসতে বাধ্য করেছিল। তবে পূর্ববর্তী অনেক প্রচেষ্টার মতো, সাম্রাজ্যবাদীদের শেষ পর্যন্ত কিছু অর্জন না করেই একটি বড় পাল্টা আক্রমণের মুখে পিছু হটতে হয়েছিল (সানসোম ১৯৬১: ১০৮)। ১৩৫০-এর দশকে সাম্রাজ্যবাদী সেনাবাহিনীর মধ্যে যে উচ্ছ্বাস ছিল তা ম্লান হয়ে গেছে। এই তারিখের পরে প্রতিরোধ বিক্ষিপ্ত এবং সম্পূর্ণ প্রতিরক্ষামূলক হয়ে ওঠে। অবশেষে ১৩৬৯ সালে সম্রাট গো-মুরাকামির মৃত্যুর এক বছর পর কট্টর সাম্রাজ্যবাদী জেনারেল কুসুনোকি মাসানোরি শাসকগোষ্ঠীর কাছে আত্মসমর্পণ করেন। তাঁর আত্মসমর্পণের ফলে কেন্দ্রীয় প্রদেশগুলোর প্রতি সাম্রাজ্যবাদী হুমকির অবসান ঘটে (সানসোম ১৯৬১: ১০৮)।
=== দরবারের কাছে বৈধতা চাওয়া ===
১৩৭০ সালে ইমাগাওয়া সাদায়ো (রিওশুন) দ্বারা নিযুক্ত করা হয়েছিল কানরেই ইয়োরিয়ুকি এবং সিনিয়র করদ রাজ্য কাউন্সিল কিউশুতে দক্ষিণ দরবারের প্রতিরোধের শেষ দুর্গটি নামিয়ে আনতে। বারো বছরের কঠোর অভিযানের পর সাম্রাজ্যবাদী প্রতিরোধ ১৩৮১ সালে কিকুচি পরিবারের পরাজয়ের সাথে ভেঙে পড়ে। ১৩৮৫ সালে শিমাজু উজিহিসার মৃত্যুর সাথে সাথে সর্বশেষ কিউশু প্রাদেশিক ডোমেন শাসনব্যবস্থার প্রতি তার আনুগত্য ঘোষণা করেছিল (সানসোম ১৯৬১: ১১২)। কিউশুর পতনের সাথে সাথে সমগ্র পশ্চিম জাপান আশিকাগা শাসনের শাসন ও প্রভাবের অধীনে আসে। তবে অভিজাতদের উপর আশিকাগা শাসনকে বৈধতা দেওয়ার জন্য একা প্রচারণা অপর্যাপ্ত ছিল। ১৩৬৭ এর পর শোগুন যোশিমিতসুর সংখ্যালঘু সময়ে, কানরেই হোসোকাওয়া ইয়োরিয়ুকি অভিজাতদের চোখে শাসনকে বৈধতা দেওয়ার প্রয়াসে সক্রিয় হয়ে ওঠেন। তিনি বেশ কয়েকটি অত্যন্ত রক্ষণশীল পদক্ষেপের মাধ্যমে এটি করেছিলেন, কিয়োটোর অভিজাতদের মধ্যে প্রতিপত্তি অর্জন করেছিলেন। তিনি তরুণ শোগুনকে এতে অংশ নিয়ে একটি প্রাচীন দরবার র্যাংকিং সিস্টেম ব্যবহার করেছিলেন (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ২৬)। তিনি অতীতের যে কোনও যোদ্ধা নেতার চেয়ে দরবারের সাথে শাসকগোষ্ঠীকে আরও ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত করেছিলেন। এটি করার মাধ্যমে, তিনি শাসনকে রাজদরবারের কাছাকাছি বেঁধে রেখেছিলেন, যার ফলে নানবোকু-চো দ্বন্দ্বে ইন্ধন জুগিয়েছিল এমন মতাদর্শের কলঙ্ক মুছে ফেলা হয়েছিল: আশিকাগা তাকাউজিকে সাম্রাজ্যবাদী শক্তি পুনরুদ্ধারের বিরুদ্ধে লড়াই করা বিশ্বাসঘাতক হিসাবে দেখা হয়েছিল।
জাপানি সমাজের বিভিন্ন শ্রেণির মধ্যে এর জনপ্রিয়তার কারণে দরবার সমাজ এত দীর্ঘ সময় টিকে ছিল। এস্টেট স্তরে, কৃষকরা যোদ্ধাদের চেয়ে অভিজাতদের সাথে অনেক বেশি ঘনিষ্ঠ বোধ করেছিল। অভিজাতদের ক্ষয়িষ্ণু শক্তি সত্ত্বেও, তাদের প্রভাব তাদের প্রকৃত ক্ষমতার বাইরে চলে গিয়েছিল। কারণ তারা ঐতিহ্যের বৈধতা এবং সংস্কৃতির ক্যারিশমা ধারণ করেছিল যা যোদ্ধাদের ছিল না। এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই যে ইয়োরিয়ুকি তরুণ শোগুনকে দরবারের অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিল: এই অংশগ্রহণটি মধ্যস্থতাকারী ছিল, দরবারের র্যাংকিং সিস্টেমের সর্বোচ্চ সামরিক নেতাকে জড়িত করেছিল যা বেশ কয়েক শতাব্দী আগের, এবং এর ভিত্তি হিসাবে যোদ্ধাসহ প্রত্যেকের উপর সাম্রাজ্যবাদী ধারার প্রাধান্য ছিল, যাদের সম্রাটের কাছ থেকে উপাধি পেতে হয়েছিল। এই দরবারের র্যাংকিং রীতিতে অংশ নিয়ে, আশিকাগা শাসন পুরো সমাজকে একটি শক্তিশালী বার্তা পাঠাচ্ছিল: দরবার কর্তৃক প্রদত্ত বৈধতা তখনও বৈধ এবং তখনও গুরুত্বপূর্ণ (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ২০)। এই অংশগ্রহণ যোদ্ধা শাসন এবং দরবারের মধ্যে উত্তেজনা দূর করেছিল এবং যোদ্ধা শ্রেণির মধ্যে দরবারের সংস্কৃতি প্রচারের অনিচ্ছাকৃত প্রভাব ফেলেছিল, স্বাদের একটি সংমিশ্রণ তৈরি করেছিল যা চিরকালের জন্য জাপানি সংস্কৃতির এই সময়টিকে উজ্জ্বল উদ্ভাবনের এক হিসাবে চিহ্নিত করেছে। একদিক থেকে এই অংশগ্রহণ ছিল একটি অপ্রচলিততা যা বাস্তব জগৎ থেকে সরানো বলে মনে হয়েছিল,খানে যোদ্ধারা সরাসরি ক্ষমতা প্রয়োগ করত। তবে বৈধতার প্রশ্নটি অগত্যা ক্ষমতার প্রত্যক্ষ অনুশীলনের সাথে আবদ্ধ নয়। বৈধতা মতাদর্শের সাথে আবদ্ধ, এবং অভিজাত আভিজাত্য শাসনের আদর্শিক ভিত্তি যোদ্ধাদের শাসনের চেয়ে ভাল ভিত্তি ছিল। একা শক্তি প্রয়োগ বৈধতা তৈরি করতে পারে না, এবং দরবারকে ঘিরে যে সাংস্কৃতিক পরিবেশ ছিল তা তখনও সামুরাই তরোয়ালের চেয়ে অনেক বেশি প্ররোচিত, অনেক বেশি মার্জিত ছিল। যোদ্ধারা নিজেরাই আভিজাত্যদের সংস্কৃতির প্রতি আকৃষ্ট হয়েছিল এবং উত্সাহের সাথে পরবর্তীকালের স্বাদগুলো অনুকরণ করেছিল যতক্ষণ না তারা এমন একটি সংশ্লেষণ তৈরি করতে সক্ষম হয়েছিল যা আগে যা ছিল তার বাইরে চলে গিয়েছিল যেমন জেন দ্বারা প্রভাবিত রক গার্ডেনের উত্থান অন্যান্য শিল্প ফর্মগুলোর মধ্যে যা আজ অবধি স্থায়ী প্রভাব ফেলেছে। এবং কেবল এই কারণেই, চতুর্দশ শতাব্দীর শেষ কয়েক দশক ধরে শোগুন এবং রাজদরবারের মধ্যে যে সংযোগ কার্যকর হয়েছিল, তা শোগুনের শক্তির বৈধতা প্রশস্ত করার প্রভাব ফেলেছিল।
দ্য কানরি ইয়োরিয়ুকি ১৩৬৮ সালে শেষ অর্ধ-কর ডিক্রি (হানজেই) জারি করেছিলেন। এই ডিক্রিটি একটি বিস্তৃত এবং সিদ্ধান্তমূলক মধ্যস্থতাকারী যন্ত্র ছিল যা শাসকদের সাথে মহৎ স্বার্থকে বেঁধে রাখার জন্য ব্যবহৃত হয়েছিল: এটি রাজকীয় পরিবারের মালিকানাধীন জমি, প্রধান মন্দিরগুলোর নিয়ন্ত্রণাধীন জমি এবং রাজকীয় রিজেন্টদের মালিকানাধীন জমি (ফুজিওয়ারা) নিষিদ্ধ করেছিল। ব্যতিক্রমগুলোর মধ্যে আভিজাত্য জমিগুলোও অন্তর্ভুক্ত ছিল যা পূর্ববর্তী শোগুন (সম্ভবত যোশিয়াকিরা?) দ্বারা সম্পূর্ণ শিরোনাম দেওয়া হয়েছিল এবং সামুরাই স্টুয়ার্ডস (জিটো) দ্বারা পরিচালিত এস্টেটগুলো (উইন্টারস্টিন ১৯৭৪: ২১৯-২০)। এই ডিক্রিটি দেশব্যাপী সমস্ত এস্টেটের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য ছিল এবং এর আসল গুরুত্ব ছিল এস্টেটগুলোতে আরও সামুরাই আক্রমণ রোধ করতে এবং ইতিমধ্যে সংঘটিত সামুরাই আক্রমণের মুখে অভিজাতদের স্বার্থ রক্ষার জন্য ব্যবহৃত শক্তিশালী ভাষা। পূর্ববর্তী অর্ধ-করের ডিক্রিগুলোর বিপরীতে, এটি রক্ষণশীল ছিল এবং এর লক্ষ্য ছিল অভিজাত জমিগুলোকে ন্যায়সঙ্গত করার পরিবর্তে বিভাজন থেকে রক্ষা করা।
১৩৬৮ অর্ধ-কর ডিক্রির সাথে, শাসনটি ১৩৫২ ডিক্রি থেকে অনেক দূরে এসেছিল। তবে ইতিমধ্যে সংঘটিত সামুরাই আক্রমণের বাস্তবতা বিপরীত করা যায়নি। এখানে, মতাদর্শগতভাবে প্রকাশ্যে যা বলা হয়েছিল তা প্রদেশগুলোতে প্রকৃতপক্ষে যা ঘটছিল তা থেকে বিচ্যুত হয়েছিল। যেমনটি আমরা উপরে দেখেছি, ১৩৬৮ ডিক্রি সত্ত্বেও এস্টেটগুলোতে সামুরাই এবং শুগো প্রভুদের আক্রমণ মারাত্মক ছিল। আর পঞ্চদশ শতাব্দীতে ভূমি দখলের এই প্রবণতা আরও প্রকট হতে থাকে। আমাকে অবশ্যই এই সিদ্ধান্তে উপনীত হতে হবে যে ১৩৬৮ ডিক্রিটি যোদ্ধাদের অব্যাহত যোদ্ধা টেকওভারের প্রমাণের কারণে এস্টেট এবং তাদের আয়ের উপর নিয়ন্ত্রণ নেওয়া থেকে বিরত রাখতে সামগ্রিকভাবে অকার্যকর ছিল। এক অর্থে, ১৩৬৮ সালের ডিক্রিটি একটি আদর্শিক দলিল ছিল যা শোগুন এবং রাজকীয় দরবারের মধ্যে প্রতিষ্ঠিত ঘনিষ্ঠ সংযোগগুলো অনুসরণ করে আভিজাত্যদের চোখে আশিকাগা শাসনকে বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। তদুপরি, আশিকাগা শোগুনরা ইচ্ছা থাকলেও এস্টেটগুলোর আয়ের উপর যোদ্ধাদের অব্যাহত আক্রমণ বন্ধ করতে সক্ষম ছিল না। যতই অকার্যকর হোক না কেন, ১৩৬৮ সালের ডিক্রি স্বীকৃত মহৎ স্বার্থ একটি যোদ্ধা শাসন দ্বারা মতাদর্শগতভাবে রক্ষা করা হয়েছিল এবং এই প্রক্রিয়ায় উভয়ের স্বার্থকে একত্রে আবদ্ধ করা হয়েছিল।
অবশেষে, ১৩৬০-এর দশকে আবির্ভূত মুরোমাচি শাসনের প্রত্যক্ষ শাসন ভৌগোলিকভাবে কান্তোতে অবস্থিত পূর্ববর্তী কামাকুরা শাসনের বিপরীতে পশ্চিম ও কেন্দ্রীয় প্রদেশগুলোতে সীমাবদ্ধ ছিল। বাইরে শুগো লর্ডস (তোজামা) আশিকাগার সাথে সম্পর্কিত নয় যেমন টেকেদা, চিবা, ইউকি, সাতাকে, ওয়ামা, উতসুনোমিয়া, শোনি, ওটোমো, আসো এবং শিমাজু পরিবারগুলো, যাদের সকলেই কানটো এবং কিউশু অঞ্চলে বা তার কাছাকাছি কেন্দ্রীভূত ছিল তারা কানরেই কাউন্সিল ব্যবস্থায় অংশ নেয়নি এবং শাসন থেকে আধা-স্বাধীন ছিল (ভার্লি ১৯৬৭: ২৯; ভার্লি ১৯৬৭: ২৯)। হল ১৯৬৬: ১৯৯)। কিয়োটো থেকে সহজে নিয়ন্ত্রিত হয়নি এমন অঞ্চলে তাদের প্রধান অবস্থানের কারণে আশিকাগা দ্বারা তাদের মৌনভাবে স্বীকৃত এবং শুগো উপাধি দেওয়া হয়েছিল (হ্যারিংটন ১৯৮৫: ৬৭)।
=== কিউশু ===
১৩৭০ সালে শুরু হওয়া কিউশু অভিযানের পর কিউশু ডেপুটি (তান্দাই) সেই দ্বীপে মুরোমাচি শাসনের প্রতিনিধি হন। ইমাগাওয়া সাদায়ো (রিওশুন) কার্যকরভাবে দক্ষিণ দরবারের বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযানের বিচার করেছিলেন এবং শিমাজু উজিহিসার বাহিনীর বিরুদ্ধে তার আক্রমণ চালিয়ে যান, প্রক্রিয়াটিতে স্থানীয় কিউশু কোকুজিনের সমর্থন অর্জন করেছিলেন (হ্যারিংটন ১৯৮৫: ৮৫-৬)। সাদায়োর মতো ডেপুটিরা তাদের নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে মুরোমাচির প্রতিনিধি ছিলেন, এমনকি যখন তারা স্থানীয় সামুরাইকে করদের পুরো ক্ষমতা অহংকার করেছিলেন। উদাহরণস্বরূপ, ১৩৭৭ সালে সাদায়ো এবং একষট্টি জন স্থানীয় সামুরাইয়ের সমন্বয়ে একটি সামুরাই জোট (ইক্কি) এর মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। চুক্তিতে শর্ত দেওয়া হয়েছিল, জোটের সদস্যদের মধ্যে সমস্ত বিরোধ কিউশু ডেপুটির কাছে নিয়ে যাওয়া হবে, যখন জোটের সদস্য এবং ডেপুটির মধ্যে বিরোধগুলো কিয়োটোর মুরোমাচি শাসনে নিয়ে যাওয়া হবে (হ্যারিংটন ১৯৮৫: ৮৭)। কিউশু ডেপুটি ছিলেন একজন মধ্যস্থতাকারী ব্যক্তিত্ব যিনি শাসকদের স্বার্থ এবং তার এখতিয়ারাধীন স্থানীয় অঞ্চলের স্বার্থকে একত্রিত করেছিলেন। স্বাধীনতার প্রলোভনের কারণে এটি একটি অনিশ্চিত অবস্থান ছিল। তবে যে কোনও কারণেই হোক না কেন, মুরোমাচি শাসন পুরো জাতির উপর তাদের সরাসরি নিয়ন্ত্রণ প্রসারিত করেনি এবং তাই জবরদস্তিমূলক ও মধ্যস্থতাকারী যন্ত্রের মাধ্যমে এই অঞ্চলের শুগো প্রভু এবং সামুরাইকে প্রভাবিত করার জন্য তাদের প্রতিনিধি হিসাবে কাজ করার জন্য কিউশু ডেপুটির মতো নিয়োগকারীদের উপর নির্ভর করতে এসেছিল।
=== কান্তো ===
চতুর্দশ শতাব্দীর শেষের দিকে, কানটো অঞ্চলটি শক্তিশালী যোদ্ধা পরিবারগুলোর দ্বারা আধিপত্য ছিল। এর মধ্যে উসুগিরা ছিল সবচেয়ে শক্তিশালী। তারা তাদের নিজস্ব স্বার্থ এগিয়ে নেওয়ার জন্য এই অঞ্চলের পরিবারগুলোর মধ্যে ছড়িয়ে পড়া লড়াইয়ের সুযোগ নিতে সক্ষম হয়েছিল। ১৩৬৮ সালে উৎসুনোমিয়া পরিবার মুরোমাচি শাসনের কামাকুরা সদর দফতরের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছিল। কারণ তারা উয়েসুগির কাছে তাদের শুগো পোস্ট হারিয়েছিল। উসুগি পরিবার তাদের এখতিয়ারের অধীনে শুগো পোস্ট সংগ্রহ করে এবং অন্যান্য পরিবারের ব্যয়ে কান্টো অঞ্চলে করদ রাজ্যগুলোর ঘিরে ফেলে তাদের প্রভাব প্রসারিত করতে সক্ষম হয়েছিল (হ্যারিংটন ১৯৮৫: ৮২-৩)। কেউ একটি তত্ত্ব এগিয়ে নিতে পারে যে কান্টো অঞ্চলটি কিয়োটো থেকে আধা-স্বাধীন হয়ে উঠেছে এবং উসুগি সমর্থনের কারণে মুরোমাচি শাসনের কামাকুরা সদর দফতর বিদ্যমান ছিল। উয়েসুগি পরিবার তাদের অনাকাঙ্ক্ষিত অবস্থানের কারণে কান্টো কানরেই পদে তাদের নিয়োগের মাধ্যমে মুরোমাচি সরকার কর্তৃক আইনত স্বীকৃত হয়েছিল।
মুরোমাচি শাসনের কামাকুরা সদর দফতর কিউশু ডেপুটি (তান্দাই) এর মতোই কাজ করেছিল: এটি আঞ্চলিক মধ্যস্থতাকারী অফিসে পরিণত হয়েছিল যার মাধ্যমে শাসনের আদেশ বহির্মুখী কানটো অঞ্চলে প্রেরণ করা হয়েছিল। উপরে দেখা বাস্তবে কান্টো উসুগির মতো শক্তিশালী পরিবার দ্বারা আধিপত্য ছিল। ক্রমবর্ধমানভাবে, কামাকুরা সদর দফতর মুরোমাচি শাসন থেকে স্বাধীন হয়ে ওঠে এবং সমস্ত প্রয়োজনীয় উদ্দেশ্যে আঞ্চলিক বিরোধ, আঞ্চলিক কর আরোপের যত্ন নেয় এবং কিয়োটোর মুরোমাচি সরকারের ন্যূনতম উল্লেখ সহ কান্টোতে শুগো প্রভুদের সাথে সম্পর্ক গড়ে তোলে - যদিও জায়গীর নিশ্চিত করার অধিকার এবং শুগো নিয়োগ অনুমোদনের অধিকার প্রযুক্তিগতভাবে কিয়োটোর হাতে রয়ে গেছে (হ্যারিংটন ১৯৮৫: ৮৩-৫)।
=== আশিকাগা শক্তির কেন্দ্রীকরণ এবং নানবোকু-চো যুদ্ধের সমাপ্তি: ১৩৭৯–১৩৯৯ ===
১৩৬০-এর দশকের গুরুত্বপূর্ণ দশকে একের পর এক প্রতিরোধের ক্ষেত্র মুরোমাচি শাসনের হাতে পড়েছিল: স্পষ্টতই, ওচি এবং ইয়ামানার মতো শক্তিশালী শুগো প্রভুরা নিজেদেরকে আধা-স্বাধীন প্রভু হিসাবে জমা দিয়েছিলেন; সময় যত গড়িয়েছে ততই দক্ষিণ কোর্টের প্রতিরোধ আরও নিরর্থক হয়ে উঠেছে। সামরিকভাবে শাসনব্যবস্থা ১৩৬৬৬৬৬৬ সালে শুগো প্রভুদের তাদের নিজস্ব সহকর্মীদের একজনকে আক্রমণ করার আহ্বান জানাতে সক্ষম হয়েছিল, শোগুনাল নিয়ন্ত্রণে শুগোর ক্রমবর্ধমান অধীনতার দিকে ইঙ্গিত করে। কানরেই কাউন্সিল সিস্টেম তৈরি এবং বাকুফু আমলাতন্ত্রে শক্তিশালী শুগো পরিবারগুলোর ক্রমবর্ধমান অংশগ্রহণের সাথে হাত মিলিয়ে রাজকীয় দরবারের সাথে সম্পর্ক শাসনের বৈধ ভিত্তিকে আরও প্রশস্ত করেছিল। এই মূল বিকাশগুলো কেবল শোগুনাল নিয়ন্ত্রণ বাড়ানোর জন্যই নয়, শুগো প্রভু এবং অভিজাতদের স্বার্থকে শাসনের সাথে আরও ঘনিষ্ঠভাবে আবদ্ধ করার জন্য ব্যবহৃত হয়েছিল। [১৮] তবে ভৌগোলিকভাবে, মুরোমাচি শাসনের পরিধি সীমিত ছিল, কানটো এবং কিউশু অঞ্চলের এখতিয়ার আঞ্চলিক প্রতিনিধিদের কাছে অর্পণ করে এবং হনশুর কেন্দ্রীয় ও পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশগুলোর উপর কমবেশি সরাসরি নিয়ন্ত্রণ রেখেছিল।
১৩৭৯ সালে যোশিমিতসুর কর্তৃত্ব গ্রহণের পঞ্চাশ বছর পর মুরোমাচি শাসন দেশের অপ্রতিদ্বন্দ্বী সরকার হিসাবে তার সবচেয়ে শক্তিশালী পর্যায়ে প্রবেশ করেছিল। শোগুনের নিয়ন্ত্রণ বাড়ার সাথে সাথে শোগুন এবং শুগো প্রভুদের মধ্যে সংযোগ আরও শক্ত হয়েছিল। প্রধান যন্ত্র এবং তাদের প্রভাবগুলো যা শোগুনকে শুগো প্রভুদের উপর নিয়ন্ত্রণ প্রয়োগ করতে এবং জড়িত শাসনের বৈধতার ভিত্তিকে প্রশস্ত করতে সক্ষম করেছিল: ১) মুরোমাচি শাসন এবং রাজকীয় দরবারের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের ধারাবাহিকতা; ২) শুগো প্রভুদের লক্ষ্য করে বাধ্যতামূলক আবাসিক নীতি; ৩) শোগুণাল আর্মির (গোবাঁশু) অধিকতর উন্নয়ন; ৪) বেশ কয়েকটি শুগো প্রভুর জোট ব্যবহার করে শোগুনাল আধিপত্যের উত্থান। ৫) শাসকগোষ্ঠী কর্তৃক বাণিজ্যিক ও কৃষি রাজস্ব এবং করের ব্যবহার। এই সমস্ত পরিবর্তনগুলো কেন্দ্রীভূত শক্তির অব্যাহত প্রবণতার উদাহরণ দেয় যা শাসনের শক্তি বৃদ্ধি করেছিল। আশিকাগা এবং সাম্রাজ্যীয় দরবার
অধীনে যোশিমিতসু (সক্রিয় ১৩৭৯–১৪০৮) যিনি ইয়োরিয়ুকিকে বরখাস্ত করার পরে ক্ষমতার লাগাম ধরেছিলেন কানরেই, এই বিশেষ সংযোগের প্রভাবগুলো জাপানি ইতিহাসের অন্যতম উজ্জ্বল সময়কে উত্সাহিত করেছিল, স্থাপত্য ও সাংস্কৃতিক ফর্মগুলোর পরিপক্কতার জন্য বিখ্যাত যা তখন থেকে জাপানি সংস্কৃতির বৈশিষ্ট্যযুক্ত। রাজদরবার এবং এর সংস্কৃতির সাথে তাঁর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক এবং নতুন শিল্পের প্রতি তাঁর পৃষ্ঠপোষকতা সামরিক অভিজাতদের কাছে বিশেষত শুগো প্রভুদের মাধ্যমে এই সংস্কৃতি ছড়িয়ে দিতে সহায়তা করেছিল (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ৩১-৩২; গ্রসবার্গ ১৯৮১: ৩১-৩২)। কাওয়াই ১৯৭৭: ৭২)। শোগুন এবং রাজকীয় দরবারের মধ্যে এই সংযোগ উভয় প্রতিষ্ঠানে অতিরিক্ত মর্যাদা এনেছিল এবং শোগুনকে নাগরিক বৈধতা এবং সংস্কৃতির আভা দিয়েছিল যা পূর্ববর্তী কামাকুরা শাসনের অভাব ছিল।
দরবারের প্রতিষ্ঠানগুলোতে অংশ নিয়ে, শোগুন দরবারের সংস্কৃতির বেশিরভাগ পরিমার্জিত বিনোদনও গ্রহণ করেছিলেন। পূর্ব প্রাতিষ্ঠানিক সংযোগের ফলে সাংস্কৃতিক সাধনা এসেছিল। আদর্শিক ন্যায্যতার সাথে সংস্কৃতির আরও মিল রয়েছে: যেমনটি আমরা আগের বিভাগে দেখেছি, দরবারের সংস্কৃতির বেশিরভাগ অংশ যোদ্ধাদের কাছে অস্বীকার করা বৈধতা উপভোগ করেছিল।
=== বলপ্রয়োগের একচেটিয়া: বাধ্যতামূলক বাসস্থান ===
শোগুন-শুগো সম্পর্কের দিকে অগ্রসর হয়ে, ১৩৮০-এর দশকে কানরেই কাউন্সিল ব্যবস্থাটি যোশিমিতসু দ্বারা শক্তিশালী করা হয়েছিল যখন তিনি পশ্চিম ও মধ্য শুগো প্রভুদের কিয়োটোতে বাসস্থান নিতে রাজি করেছিলেন। এমনকি তিনি ১৩৮৯ সালে ওউচি ইয়োশিহিরোর সাথে দেখা করতে গিয়েছিলেন এবং তার তথাকথিত তীর্থযাত্রার সময় তাকে কিয়োটোতে বাস করতে রাজি করান। এই সার্কিটগুলো তিনি যে প্রদেশগুলোতে ভ্রমণ করেছিলেন সেগুলোর মাধ্যমে তাঁর শক্তি প্রদর্শন করতে ব্যবহৃত হয়েছিল (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ২৯-৩০)। যোশিমিতসু যে বাধ্যতামূলক আবাসিক নীতি চালু করেছিলেন তা ছিল প্রধান জবরদস্তিমূলক নীতি যা কানরেই কাউন্সিল ব্যবস্থাকে সহায়তা করেছিল এবং শোগুনকে শুগো প্রভুদের চারপাশে তার খপ্পর শক্ত করতে সক্ষম করেছিল। রাজধানী শহর ছেড়ে যাওয়ার অনুমতি খুব কমই শুগো প্রভুকে দেওয়া হয়েছিল: এটি কেবল সিনিয়র করদ রাজ্য কাউন্সিলে আলোচনার পরে মঞ্জুর করা হয়েছিল। এমনকি প্রাদেশিক বিদ্রোহ বা দক্ষিণ দরবারের গেরিলা কার্যকলাপের ক্ষেত্রে অনুমতি দেওয়া হলেও, উপযুক্ত জিম্মিদের কিয়োটোতে রেখে দেওয়া হয়েছিল। যদি শুগো প্রভু অনুমতি ছাড়াই চলে যান তবে এটি রাষ্ট্রদ্রোহের সমতুল্য হিসাবে দেখা হত (কাওয়াই ১৯৭৭: ৬৮-৯; তনুমা ১৯৭৬: ১৩)।
কান্তো এবং কিউশু শুগোকে কিয়োটোতে বাধ্যতামূলক বসবাসের এই আদেশ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল। যাইহোক, মুরোমাচি শাসনের কামাকুরা সদর দফতর কান্টো শুগো প্রভুদের ক্ষেত্রে অনুরূপ নীতি প্রবর্তন করেছিল এবং তাদের কামাকুরায় প্রাসাদ প্রতিষ্ঠা করতে বাধ্য করেছিল যেমন পশ্চিম ও কেন্দ্রীয় শুগো প্রভুরা কিয়োটোতে প্রাসাদ তৈরি করেছিল (কাওয়াই ১৯৭৭: ৬৮)। কিয়োটোতে ম্যানশন বিল্ডিং ফ্যাশনেবল হয়ে ওঠে এবং শেষ পর্যন্ত কিউশুর শিমাজুর মতো শুগো প্রভুদের অন্তর্ভুক্ত করে, যিনি কিয়োটোতে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যদিও তার এটি করার প্রয়োজন ছিল না। শুগো প্রভুদের সত্যিই এই বিষয়ে খুব কম পছন্দ ছিল। তারা হয় কিয়োটোতে বাস করত অথবা শাসকগোষ্ঠীর বিশ্বাসঘাতক হিসাবে চিহ্নিত হয়েছিল। কানরেই কাউন্সিল সিস্টেমের মতো প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি, বাধ্যতামূলক আবাসিক নীতির জাতীয় দৃষ্টিকোণ থেকে এবং প্রাদেশিক দৃষ্টিকোণ থেকে উভয়ই অগণনীয় প্রভাব ছিল। প্রারম্ভিকদের জন্য, শুগো প্রভুদের শক্তি এই নীতি দ্বারা মারাত্মকভাবে সীমাবদ্ধ ছিল: তাদের চলাচলের স্বাধীনতা অবরুদ্ধ করা হয়েছিল। দ্বিতীয়ত, পঞ্চদশ শতাব্দীর দ্বিতীয় চতুর্থাংশে সময় অতিবাহিত হওয়ার সাথে সাথে প্রদেশগুলোতে প্রকৃত শক্তি শুগো প্রভুদের কাছ থেকে দূরে সরে যায় এবং ডেপুটি শুগো (শুগো-দাই) এবং প্রদেশগুলোতে বসবাসকারী অন্যান্য স্বাধীন সামুরাই (কোকুজিন) এর উপর বিশ্রাম নেয়। সুতরাং, শুগো প্রভুদের দৃষ্টিকোণ থেকে বাধ্যতামূলক আবাসিক নীতি দীর্ঘমেয়াদী বিপর্যয় হিসাবে প্রমাণিত হয়েছিল (কাওয়াই ১৯৭৭: ৭৩)। ডেপুটি শুগোর নিয়োগের প্রয়োজন ছিল বাধ্যতামূলক আবাসিক নীতি যদি শুগো প্রভুরা প্রদেশগুলোতে তাদের ক্ষমতা বজায় রাখতে চায়। স্বল্পমেয়াদে, শাখা পরিবারের সদস্যদের এবং সামুরাই কোকুজিনকে ডেপুটি শুগো হিসাবে নিয়োগ দেওয়া এবং প্রদেশগুলোতে তাদের নিজস্ব প্রতিনিধি হিসাবে ব্যবহার করা ভাল কাজ করেছিল; কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে, শুগো প্রভুদের হাত থেকে ক্ষমতা তাদের ভাড়া করা লোকদের হাতে চলে যায়।
=== শোগুনাল আর্মি ===
ইয়োশিমিতসু সামরিক শক্তি প্রয়োগ করে শুগো প্রভুদের আনুগত্যে নামিয়ে আনতে দ্বিধা করেননি এই অজুহাতে যে তারা খুব শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। তিনি তাঁর উপর নির্ভরশীল প্রায় তিন হাজার যোদ্ধা নিয়ে পাঁচটি বিভাগ নিয়ে গঠিত একটি নতুন শোগুনাল সেনাবাহিনী (গোবাঁশু) একত্রিত করেছিলেন (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ১০৬-৭)। এই বাহিনীটি একটি শক্তিশালী অ্যারে ছিল, বিশেষত যখন তারা অন্যান্য শুগো প্রভুদের অবদানের দ্বারা বৃদ্ধি পেয়েছিল। শোগুনাল সেনাবাহিনীর গুরুত্ব পরিমাণের বাইরে চলে যায়। তবে এই বাহিনীটি যা প্রতিনিধিত্ব করে তার উপর আরও আঘাত করে: কোকুজিন সামুরাই দ্বারা গঠিত তার নিজস্ব করদ রাজ্যগুলোর সাথে শোগুনকে সরাসরি সংযুক্ত করে একটি পৃথক বাহিনী। শোগুনাল সেনাবাহিনী শুগো বাহিনীর উপর নজরদারি হিসাবে কাজ করেছিল। দ্বিতীয় অধ্যায়ে আমরা দেখেছি, প্রথম আশিকাগা শোগুন, তাকাউজি, সামুরাই স্টুয়ার্ডদের সাথে এস্টেটের জমিতে আবদ্ধ করে তাদের সাথে সম্পর্ক তৈরি করেছিল। প্রারম্ভিক মুরোমাচি সময়কালে, শোগুনের কমান্ডের অধীনে এই পৃথক করদ রাজ্য শ্রেণিবিন্যাস শুগো শক্তির উপর একটি গুরুত্বপূর্ণ চেক ছিল। আমরা দেখব এই পূর্ববর্তী সেনাবাহিনী যোশিমিতসুর শোগুনাল সেনাবাহিনী থেকে কীভাবে আলাদা ছিল।
শোগুনাল সেনাবাহিনীর দুটি উপাদান ছিল: শোগুনাল দেহরক্ষী (শিনইগুন) আশিকাগা শাখা পরিবারের সদস্য, শুগো আত্মীয় এবং শুগো শাখার পরিবারের সদস্য, শাসক কর্মকর্তাদের অন্যান্য পুত্র ও ভাই এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণভাবে, শক্তিশালী কোকুজিন নিয়ে গঠিত। সংখ্যায় (বড়জোর সাড়ে তিনশো পুরুষ), এই দলটি একটি সুসংহত এবং অনুগত সংস্থা ছিল, যে কোনও মূল্যে শোগুনের ব্যক্তিকে রক্ষা করতে প্রস্তুত ছিল (আর্নেসেন ১৯৮৫: ১০২)। এই ছোট্ট ব্যান্ডের চারপাশে শোগুনের বেশ কয়েকটি প্রত্যক্ষ করদ রাজ্য ছিল যা ১৩৩৬ সালে এর উত্সটি সন্ধান করেছিল, যখন শোগুন তাকাউজি অনেক সামুরাইকে বাড়ির করদ রাজ্য হিসাবে ঘিরে ফেলেছিল যারা সম্ভবত রিজার্ভ সেনাবাহিনী হিসাবে ব্যবহৃত হয়েছিল (গে ১৯৮৬: ৯৫-৬); শোগুনাল দেহরক্ষীর সদস্যদের সাথে সংযুক্ত বৃহত্তর সংখ্যক পরোক্ষ করদ রাজ্য সম্ভবত যোশিমিতসুর অধীনে শোগুনাল সেনাবাহিনীর বেশিরভাগ অংশ তৈরি করেছিল। এই শেষ পয়েন্টটি আর্নেসেন দ্বারা ভালভাবে চিত্রিত হয়েছে, যিনি গণনা করেছিলেন যে শোগুনাল দেহরক্ষীতে সরাসরি করদ রাজ্যের সংখ্যা ষোড়শ শতাব্দীর শেষের দিকে হোজো বংশের অধীনে তালিকাভুক্ত প্রত্যক্ষ করদ রাজ্যের সংখ্যা ষাট থেকে সত্তর শতাংশ ছিল (১৯৮৫: ১২৬)। এবং যদি প্রয়াত হোজো ওডাওয়ারা অভিযানে পঞ্চাশ হাজার সৈন্য মাঠে নামাতে সক্ষম হত। তবে সাড়ে তিনশো শোগুনাল দেহরক্ষী সহজেই তাদের নিজস্ব করদ রাজ্যগুলোর একত্রিত করতে পারত যা গ্রসবার্গ দাবি করেছেন যে তিন হাজার সৈন্য নিয়ে এসেছিল যা গ্রসবার্গ দাবি করেছিলেন যে ১৩৯১ এর মেইটোকু রাইজিং (১৯৮১: ১০৭)। শোগুনাল দেহরক্ষীর সৃষ্টি এবং অন্যান্য শোগুনাল করদ রাজ্যগুলোর উপর এই গোষ্ঠীর কেন্দ্রীয় অবস্থানই যোশিমিতসুর শোগুনাল সেনাবাহিনীকে তাকাউজির শোগুনাল করদ রাজ্য থেকে পৃথক করে। নতুন শোগুনাল সেনাবাহিনীর সাথে একটি শক্ত সংগঠন এবং এসপ্রিট ডি কর্পস আবির্ভূত হয়েছিল।
=== শক্তিশালী শুগোকে পরাজিত করতে শুগো জোটের উসকো ===
তবে যুদ্ধের ময়দানে কানরেই শ্রেণির শুগো প্রভুদের সাথে দেখা করতে এবং পরাজিত করার জন্য একা শোগুনাল সেনাবাহিনী পর্যাপ্ত ছিল না। তবে যোশিমিতসু যে ধরণের যুদ্ধ অনুশীলন করেছিলেন তার জন্য পুরোপুরি উপযুক্ত ছিল: একজন শুগো প্রভুকে পরিবারের সদস্যের বিরুদ্ধে এবং অন্যান্য শুগো প্রভুদের বিরুদ্ধে দাঁড় করানো। পূর্ববর্তী শোগুনের অধীনে উত্থিত নতুন শোগুনাল আধিপত্য, যোশিয়াকিরা, যোশিমিতসুর রাজনীতিতে আধিপত্য বিস্তার করতে এসেছিল। শোগুনাল প্রতিপত্তি অনানুষ্ঠানিকভাবে নির্দেশ দিয়েছিল যে কোনও একক শুগো প্রভু শোগুনের ক্রোধের শিকার না হয়ে ক্ষমতার একটি নির্দিষ্ট স্তর অতিক্রম করবেন না। এটি শুগো প্রভুদের নিজেদের স্বার্থেই ছিল যে তাদের নিজস্ব সহকর্মীদের কেউই বাকিদের উপর খুব বেশি শক্তিশালী এবং প্রভাবশালী হয়ে উঠবে না (ভার্লি ১৯৬৭: ৬৩-৬৪)।
এই নীতি অনুসরণ করে ১৩৮৯ সালে যোশিমিতসু মিনো, আইসে এবং ওওয়ারি প্রদেশের শুগো প্রভু টোকি ইয়াসুয়ুকিকে পরবর্তী প্রদেশটি এক আত্মীয়ের কাছে ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। ইয়াসুয়ুকি প্রত্যাখ্যান করেছিলেন এবং যোশিমিতসু ইয়াসুয়ুকির চাচাতো ভাই ইয়োরিমাসুকে তাকে আক্রমণ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। তিন বছর পরে ইয়াসুয়ুকি পরাজিত হন এবং ১৩৯১ সালে মিনো প্রদেশটি টোকি ইয়োরিমাসুকে ছেড়ে দেন (পাপিনোট ১৯৭২: ৬৫৯)। ইয়োশিমিতসুর কাছে যে প্রদেশটি ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল তা মিনো বা ওওয়ারি ছিল কিনা তা বিবেচ্য ছিল না যতক্ষণ না টোকি ইয়াসুয়ুকি কেন্দ্রীয় প্রদেশগুলোতে তার কিছু ক্ষমতা ছিনিয়ে নিয়েছিল।
১৩৯১ সালে মেইতোকু রাইজিং (রান) এর আগে, ইয়ামানা পরিবারের পশ্চিম ও মধ্য জাপানের এগারোটি প্রদেশ ছিল। এটি তাদেরকে দেশের সবচেয়ে শক্তিশালী শুগো পরিবারে পরিণত করেছিল। যোশিমিতসু তাদের আক্রমণ করার জন্য একটি অজুহাত খুঁজছিলেন। যখন ইয়ামানা মিতসুয়ুকি (যিনি ইজুমো, তাম্বা, হোকি এবং ওকি প্রদেশগুলোর উপর শুগো ছিলেন) ইজুমোতে রাজকীয় পরিবারের কিছু সম্পত্তি দখল করেছিলেন, যোশিমিতসু মিতসুয়ুকির বিরুদ্ধে অভিযানের পরিকল্পনা করার জন্য প্রাক্তন-কানরেই হোসোকাওয়া ইয়োরিয়ুকিকে স্মরণ করেছিলেন (পাপিনোট ১৯৭২: ৭৪৪)। ইয়ামানা শুগো প্রভু মিতসুয়ুকি এবং উজিকিও কিয়োটো আক্রমণ করেছিলেন, কিন্তু ওউচি যোশিহিরোর বাহিনীর সাথে কনসার্টে শোগুনাল সেনাবাহিনীর কাছে মারাত্মকভাবে পরাজিত হয়েছিলেন (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ৩০,১০৭; গ্রসবার্গ ১৯৮১: ৩০,১০৭; গ্রসবার্গ ১৯৮১: ৩০,১০৭)। আর্নেসেন ১৯৭৯: ৮২)। শোগুনের বাহিনী গঠিত অন্যান্য শুগো দলগুলোর প্রত্যেকের সংখ্যা তিন শতাধিক ঘোড়সওয়ারের বেশি ছিল না (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ১০৭)। অভিযানের পর ইয়ামানাকে কেবল দুটি প্রদেশ বরাদ্দ করা হয়েছিল, তাজিমা এবং হকি, এবং বিদ্রোহের নেতাদের হত্যা করা হয়েছিল, যুদ্ধে উজিকিও এবং ১৩৯৫ সালে হত্যার মাধ্যমে মিতসুইউকি (পাপিনোট ১৯৭২: ৭৪৪)। ১৩৯৯ সালে এক শুগো প্রভুর বিরুদ্ধে আরেক শুগো লর্ডের এই দাঁড় তুঙ্গে ওঠে। হাস্যকরভাবে, এবার লক্ষ্যবস্তু ছিল ওউচি ইয়োশিহিরো, যিনি ইয়ামানার বিরুদ্ধে প্রচারণায় শাসকদের ভালভাবে সেবা করেছিলেন। যোশিহিরোকে ১৩৯৭ সালে শোনি আক্রমণ করার আদেশ দেওয়া হয়েছিল যা তিনি করেছিলেন, প্রক্রিয়াটিতে তার ভাইকে হারিয়েছিলেন। পরে তিনি যোশিমিতসুর বাইজেন্টাইন দ্বিচারিতা সম্পর্কে শিখেছিলেন: শোনিকেও ওচি আক্রমণ করার আদেশ দেওয়া হয়েছিল। এই দ্বিচারিতায় ক্ষুব্ধ হয়ে এবং শোগুন যখন তাকে কিয়োটোতে ডেকে পাঠায় তখন তার জীবনের ভয়ে তিনি অবাধ্য হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ৩২)। অবাক হওয়ার কিছু নেই যে, শাসকগোষ্ঠী তাকে শত্রু ঘোষণা করেছিল। এ সাকাইয়ের যুদ্ধ, যোশিমিতসু পাঁচটি শুগো প্রভুর বাহিনী, হোসোকাওয়া, আকামাতসু, কিয়োগোকু, শিবা এবং হাতাকিয়ামার বাহিনী সহ শহরে আগুন লাগিয়ে যোশিহিরোর প্রতিরক্ষামূলক কাজগুলোকে অভিভূত করেছিল (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ৩৩; গ্রসবার্গ ১৯৮১: ৩৩)। সানসোম ১৯৬১: ১৪৯)। যোশিমিতসুর নেতৃত্বে মিত্র বাহিনী ওচির ৫,০০০ যোদ্ধার বিপরীতে ৩০,০০০ যোদ্ধা ছিল: যোশিহিরো কেবল যুদ্ধে অভিভূত হয়েছিলেন যেখানে তিনি আত্মহত্যা করেছিলেন (আর্নেসেন ১৯৭৯: ৮২,৮৬)। এই পূর্ববর্তী প্রতিটি উদাহরণ যেমন ব্যাখ্যা করে, শোগুনাল আধিপত্য খুব কার্যকর হয়ে ওঠে। এটি শুগো প্রভুদের সহকর্মীদের আক্রমণ ও ধ্বংস করে বিভক্ত করার জন্য ব্যবহৃত হয়েছিল। শোগুনাল আধিপত্য শোগুনাল সেনাবাহিনীর সাথে তাদের বাহিনীকে একত্রিত করতে শুগো প্রভুদের সহযোগিতা ছাড়া সফল হত না। তবে শোগুনাল সেনাবাহিনী এবং শাসকগোষ্ঠীর অন্যান্য ব্যয় নির্বাহের জন্য অর্থ না থাকলে এই জবরদস্তিমূলক নীতি অকল্পনীয় ছিল।
=== রাজস্ব ===
চতুর্দশ এবং পঞ্চদশ শতাব্দীর শেষের দিকে কিয়োটো অর্থনৈতিক কার্যকলাপের জন্য একটি উজ্জ্বল কেন্দ্র ছিল। শোগুন যোশিমিতসুর অধীনে উদ্ভূত বাধ্যতামূলক আবাসিক নীতির সাথে, শুগো প্রভুরা তাদের করদ রাজ্য এবং চাকরদের সাথে শহরের বিশিষ্ট জনগোষ্ঠীতে যুক্ত হয়েছিল যার মধ্যে অভিজাত, রাজকীয় দরবার এবং মুরোমাচি সরকার অন্তর্ভুক্ত ছিল। এটি বিভিন্ন পণ্য ও পরিষেবাদির জন্য একটি বিশাল বাজারে অনুবাদ করেছিল যা শহরের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে উত্সাহিত করেছিল। রাজধানীতে বসবাসকারী শোগুন এবং শুগো প্রভু উভয়ের জন্যই এই বৃদ্ধি গুরুত্বপূর্ণ ছিল: তারা ধারাবাহিকভাবে মহাজনদের সম্পদ (সাকায়া-দোসো) ব্যবহার করেছিল। শোগুন এমনকি তাদের শহরে কর আদায়কারী হিসাবে নিয়োগ করেছিল (কাওয়াই ১৯৭৭: ৭১; গ্রসবার্গ ১৯৮১: ৩৭,৭৮-৮০)। পূর্ববর্তী কামাকুরা শাসন থেকে মুরোমাচি শাসনকে এত আলাদা করে তুলেছিল তার আয়ের ভিত্তি। এর বেশিরভাগ রাজস্ব তার জমি বেস ছাড়াও বাণিজ্যিক কর থেকে এসেছিল।
প্রশাসন বোর্ড (ম্যান্ডোকোরো) মুরোমাচি শাসনের রাজস্ব সম্পর্কিত বিষয়গুলোর জন্য ক্লিয়ারিং হাউস হিসাবে ব্যবহৃত হত। এটি প্রধান আমলাতান্ত্রিক অঙ্গ ছিল যা করের উদ্দেশ্যে শহরের বিভিন্ন বাণিজ্যিক গোষ্ঠীর সাথে শাসনকে সংযুক্ত করেছিল। ১৩৯৩ সালে শাসন সরাসরি মহাজনদের উপর কর আরোপের অধিকারকে বৈধ করে (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ৭৮,৯৫-৬)। কিয়োটোতে মূল্যায়ন করা বাণিজ্যিক করগুলো নতুন নগর ভিত্তিক মুরোমাচি শাসনের ভিত্তি হয়ে ওঠে এবং সিদ্ধান্তমূলকভাবে শাসনব্যবস্থার প্রকৃতিকে কেবলমাত্র জমিদার সম্পত্তির উপর ভিত্তি করে একটি শাসনব্যবস্থায় পরিবর্তন করে আংশিকভাবে বাণিজ্য ভিত্তিক একটি শাসনব্যবস্থায় পরিণত করে।
ঐতিহ্যবাহী কৃষিভিত্তিক রাজস্ব তিনটি প্রধান উৎস থেকে আসত: শোগুনাল এস্টেট থেকে, শোগুনাল সামন্ত থেকে এবং শুগো প্রভুদের বিরুদ্ধে নির্ধারিত কর থেকে। আশিকাগা শোগুনদের অবতরণ ঘাঁটি তাদের উত্তরসূরিদের তুলনায় নগণ্য ছিল, টোকুগাওয়া; তবে কিয়োটো এবং কান্টো অঞ্চলের মধ্যে প্রায় দুই শতাধিক শোগুনাল এস্টেট (গরিওশো) ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল এবং এই এস্টেটগুলো থেকে উত্তোলিত রাজস্ব উল্লেখযোগ্য ছিল (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ৭০-৩)। তদুপরি, শোগুনাল এস্টেট এবং শোগুনাল সেনাবাহিনীর মধ্যে সংযোগ নির্ধারক ছিল: সেনাবাহিনীতে দায়িত্ব পালনকারী কিছু পুরুষ শোগুনের ব্যক্তিগত সম্পত্তির পরিচালকও ছিলেন (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ১১২)। তদুপরি, অনেক স্থানীয় সামুরাই সরাসরি শাসনকে (কিয়োসাই) ভূমি কর প্রদান করেছিল যা তারা হাউস করদ রাজ্য (গোকেনিন) হিসাবে উপভোগ করেছিল, প্রক্রিয়াটিতে শুগো ট্যাক্স সংগ্রহকারীদের কাছ থেকে টিকা দেওয়া হয়েছিল (গ্রসবার্গ ১৯৮১; গ্রসবার্গ ১৯৮১)। উপরন্তু, শুগো প্রভুদের সরাসরি কর আদায় করা হয়েছিল (শুগো শুসেন) তারা কতগুলো প্রদেশ পরিচালনা করেছিল সে অনুসারে। যখনই কোনও বিল্ডিং তৈরি বা ঠিক করার জন্য ছিল এবং যখন শোগুনের বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য নগদ অর্থের প্রয়োজন হয়েছিল তখন শাসকরা এটি মূল্যায়ন করেছিল (কাওয়াই ১৯৭৭: ৭১; কাওয়াই ১৯৭৭: ৭১)। গ্রসবার্গ ১৯৮১: ৭৪)। কিয়োটো এবং ইয়ামাশিরো প্রদেশের উদীয়মান বাজার অর্থনীতির কারণে মুরোমাচি শাসনের রাজস্বের উত্সগুলো কামাকুরা শাসনের চেয়ে অনেক বেশি পরিমাণে বৈচিত্র্যময় ছিল। এটি মহাজনদের কাছ থেকে বাণিজ্যিক রাজস্ব আদায় হিসাবে অভিনব আকারে এসেছিল (সাকায়া দোসো): মুরোমাচি আমলাতন্ত্রের ক্ষমতা কাঠামো কার্যকরভাবে কিয়োটো শহরটি দখল করার পরে একটি কর মূল্যায়ন করা হয়েছিল।
== দক্ষিণ দরবার সম্রাট ==
* সম্রাট গো-দাইগো「後醍醐天皇」(১২৮৮–১৩৩৯, রাজত্বকাল ১৩১৮–১৩৩৯)
* সম্রাট গো-মুরাকামি「後村上天皇」(১৩২৮–১৩৬৮, রাজত্বকাল ১৩৩৯–১৩৬৮))
* সম্রাট চোকেই「長慶天皇」((১৩৪৩–১৩৯৪, রাজত্বকাল ১৩৬৮-১৩৮৩)
* সম্রাট গো-কামেয়ামা「後亀山天皇」(১৩৪৭-১৪২৪, রাজত্বকাল ১৩৮৩-১৩৯২)
== উত্তর দরবারের সম্রাট ==
* উত্তর আশিকাগা দাবিদার ১: সম্রাট কোগন「光厳天皇」(১৩১৩–১৩৬৪, রাজত্বকাল ১৩৩১–১৩৩৩)
* উত্তর আশিকাগা দাবিদার ২: সম্রাট কোমিয়ো「光明天皇」(১৩২২–১৩৮০, রাজত্বকাল ১৩৩৬–১৩৪৮)
* উত্তর আশিকাগা দাবিদার ৩: সম্রাট সুকো「崇光天皇」(১৩৩৪–১৩৯৮, রাজত্বকাল ১৩৪৮–১৩৫১)
* ইন্টাররেগনাম, নভেম্বর ২৬, ১৩৫১ থেকে ২৫ সেপ্টেম্বর, ১৩৫২ পর্যন্ত
* উত্তর আশিকাগা দাবিদার ৪: সম্রাট গো-কোগন「後光厳天皇」(১৩৩৮–১৩৭৪, রাজত্বকাল ১৩৫২–১৩৭১)
* উত্তর আশিকাগা দাবিদার ৫: সম্রাট গো-এন'ইউ「後円融天皇」(১৩৫৯–১৩৯৩, রাজত্বকাল ১৩৭১–১৩৮২)
ngnkgif5udqlkma4jqaiqrb9rrl741l
84425
84424
2025-06-16T17:17:26Z
NusJaS
8394
/* স্থানীয় সামুরাই (কোকুজিন) এর উত্থান */
84425
wikitext
text/x-wiki
নানবোকু-চো যুগ (南北朝時代, নানবোকু-চো জিদাই) ১৩৩৬ সাল থেকে ১৩৯২ সাল পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। এটি মুরোমাচি যুগের একটি অংশ ছিল।
এই সময়ে দুটি সাম্রাজ্যীয় দরবার ছিল। এরমধ্যে কিয়োতোতে আশিকাগা তাকাউজি প্রতিষ্ঠা করেছিল উত্তর সাম্রাজ্যীয় দরবার; এবং সম্রাট গো-দাইগো ইয়োশিনোতে প্রতিষ্ঠা করেছিল ক্ষিণ সাম্রাজ্যীয় দরবার।
মতাদর্শগতভাবে, এই দুই দরবার প্রায় পঞ্চাশ বছর ধরে সংঘর্ষে লিপ্ত ছিল। তবে ১৩৯২ সালে দক্ষিণ দরবার উত্তর দরবারের কাছে আত্মসমর্পণ করে। বাস্তবে উত্তর রাজবংশ ছিল আশিকাগা শোগুনদের নিয়ন্ত্রণাধীন এবং তাদের বাস্তবিক স্বাধীনতা খুবই সীমিত ছিল।
উনবিংশ শতাব্দী থেকে শুরু করে দক্ষিণ দরবারের সম্রাটদের জাপানের বৈধ সম্রাট হিসেবে গণ্য করা হয়। এর পেছনে কিছু কারণ ছিল—দক্ষিণ দরবারের হাতে জাপানি সম্রাজ্ঞী রাজমুকুট ও প্রতীকগুলোর নিয়ন্ত্রণ, এবং কিতাবাতাকে চিকাফুসার লেখা ''জিন্নো শোতোকি'' ছিল। এটি তাদের পরাজয়ের পরেও দক্ষিণ দরবারের বৈধতাকে সমর্থন করেছিল।
এই সময়কালের ঘটনাগুলোর প্রভাব এখনও আধুনিক জাপানের প্রচলিত দৃষ্টিভঙ্গিতে সম্রাট ব্যবস্থা (তেননো সেইকা) প্রভাবশালী হতে থাকে। রাষ্ট্রীয় শিন্তো ধর্মের প্রভাবে ১৯১১ সালের ৩ মার্চ জারিকৃত এক সাম্রাজ্যীয় ডিক্রিতে এই সময়ের বৈধ রাজাদের দক্ষিণ দরবারের সদস্য বলেই ঘোষণা করা হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর, কুমাজাওয়া হিরোমিচি থেকে শুরু করে একদল দাবিদার নিজেদের দক্ষিণ দরবার থেকে বংশোদ্ভূত দাবি করে এবং উত্তর দরবার থেকে আসা রাজবংশের আধুনিক সাম্রাজ্যীয় ধারার বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে।
১৩৩৩ সালে কামাকুরা শোগুনাতের পতন এবং ১৩৩৬ সালে কেম্মু পুনর্গঠনের ব্যর্থতা নতুন শাসনব্যবস্থার বৈধতা নিয়ে সংকট তৈরি করে। পাশাপাশি, অভিজাত এবং যোদ্ধাদের আয়ের ভিত্তি জমিদারি ব্যবস্থায় (শোয়েন) কাঠামোগত পরিবর্তন সমাজের বিভিন্ন শ্রেণির অবস্থান পরিবর্তনে বড় ভূমিকা রাখে। নানবোকু-চো যুদ্ধের মধ্য দিয়ে যে মুরোমাচি শাসন ব্যবস্থা উদ্ভূত হয়, তা যোদ্ধা শ্রেণির অর্থনৈতিক ভিত্তিকে প্রসারিত করে। তবে অভিজাত মালিকদের ক্ষমতা হ্রাস করে। এটি কামাকুরা বাকুফুর সময় থেকেই শুরু হয়েছিল।
== কামাকুরা বাকুফুর পতন ==
গৃহযুদ্ধের সূচনায় অবদান রাখা প্রধান কারণ ছিল—হোজো পরিবার ও অন্যান্য যোদ্ধা গোষ্ঠীর মধ্যে ক্রমবর্ধমান বিরোধ। এটি ১২৭৪ এবং ১২৮১ সালের মঙ্গোল আক্রমণের পর থেকে বৃদ্ধি পায়। এছাড়াও আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ ছিল কেম্মু পুনর্গঠনের ব্যর্থতা। এটি সম্রাট-অনুগামী ও আশিকাগা গোষ্ঠীর সমর্থকদের মধ্যে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করে।
১৩শ শতাব্দীর শেষদিকে হোজো-নেতৃত্বাধীন কামাকুরা শাসনের প্রতি যোদ্ধাদের মধ্যে অসন্তোষ বৃদ্ধি পায়। এই অসন্তোষের মূল কারণ ছিল, হোজোদের অন্যান্য যোদ্ধা পরিবারগুলোর ওপর ক্রমবর্ধমান আধিপত্য বিস্তার। বিশেষ করে হোজো তোকিমুনের (১২৬৮–১২৮৪) শাসনকালে মঙ্গোল সংকটের সময় এই কেন্দ্রীয়করণ আরও প্রকট হয়। সে সময়ে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটে: হোজো পরিবারে রাজ্য পরিষদে নিয়োগ বৃদ্ধি পায়; হোজোদের ব্যক্তিগত পারিবারিক পরিষদই প্রধান সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী সংস্থা হয়ে ওঠে; এবং হোজোর সরাসরি অধীনস্থ করদ রাজ্যগুলো ক্রমবর্ধমানভাবে শুগো (প্রাদেশিক গভর্নর) হিসেবে উন্নীত করা হয়। এর ফলে তারা কেবলমাত্র নিজেদের পরিবারের সদস্য ও সরাসরি অধীনস্ত করদ রাজ্যগুলোর অন্তর্ভুক্ত করার ফলে বৃহত্তর ভিত্তির সমর্থন হারায়। ১৩৩১ সালে হোজোর বিরুদ্ধে এক জোট গঠিত হলে তার শাসনব্যবস্থার পতন ঘটাতে মাত্র দুই বছর সময় লেগেছিল।
ত্রয়োদশ শতাব্দীর শেষের দিকে যোদ্ধাদের মধ্যে হোজো-নেতৃত্বাধীন কামাকুরা শাসনের প্রতি অসন্তোষ দেখা দেয়। এই বিরক্তি শাসনের মধ্যে অন্যান্য যোদ্ধা পরিবারের উপর হোজোর প্রভাবের কারণে ঘটেছিল। হোজো টোকিমুনের রাজত্বকালে (১২৬৮-১২৮৪ খ্রিষ্টাব্দ) ক্ষমতার এই কেন্দ্রীকরণের পেছনে মঙ্গোল আক্রমণ মূল কারণ ছিল। সঙ্কটের সময়, তিনটি জিনিস ঘটেছিল: হোজো পরিবারের কাউন্সিল অফ স্টেটে নিয়োগ বেড়েছে; হোজো প্রাইভেট ফ্যামিলি কাউন্সিল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী সংস্থা হয়ে ওঠে। হোজোর সরাসরি শুগো পোস্টে উন্নীত হয়েছিল। তারা মূলত সমর্থনের বিস্তৃত ভিত্তির ব্যয়ে কেবল হোজো পরিবারের সদস্য এবং সরাসরি অন্তর্ভুক্ত করে তাদের নির্বাচনী এলাকাগুলোকে সংকীর্ণ করেছিল। ১৩৩১ সালে যখন হোজোর বিরুদ্ধে একটি জোট গঠিত হয়,
তখন কৃষিভিত্তিক সমাজে সম্পদের মূল উৎস ছিল জমি, এবং মধ্যযুগীয় জাপানেও এর ব্যতিক্রম ছিল না। প্রকৃতপক্ষে, যোদ্ধা শ্রেণির মধ্যে বেশিরভাগ অসন্তোষের মূল কারণ ছিল জমি। মিনামোতো গোষ্ঠীর উত্থানের পর থেকে যুদ্ধজয়ের পুরস্কার হিসেবে ভূমি দান ছিল যোদ্ধাদের জন্য একটি স্বীকৃত প্রথা। কিন্তু মঙ্গোল আক্রমণ ছিল ব্যতিক্রম, কারণ এটি বিদেশী শত্রুর বিরুদ্ধে দেশরক্ষার যুদ্ধ ছিল, অন্য কোনও যোদ্ধা গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে নয়। ফলে বিদেশী শত্রুর পরাজয়ের পরে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার হিসেবে তুলে দেওয়ার মতো কোনও জমি ছিল না। এই পরিস্থিতি বিশেষভাবে কঠিন ছিল সেই যোদ্ধাদের জন্য, যারা বীরত্বের সাথে যুদ্ধ করেছিল এবং জমির জন্য হোজো শাসকদের কাছে আবেদন করেছিল। চতুর্দশ শতাব্দীর শুরুতেই এই অসন্তোষ নতুন যে কোনও শাসন ব্যবস্থার ওপর প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি করেছিল। এই শ্রেণিকে সন্তুষ্ট না করতে পারলে নতুন শাসনের স্থায়িত্ব ছিল অনিশ্চিত।
নানবোকু-চো যুদ্ধ ছিল একটি মতাদর্শগত লড়াই—একদিকে ছিল যারা সম্রাটের পুনঃস্থাপন চেয়েছিল, অন্যদিকে ছিল যারা কামাকুরা শাসনের আদলে একটি নতুন যোদ্ধা শাসন প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিল। যেন জাপানের ইতিহাসের পূর্ববর্তী হেইয়ান ও কামাকুরা যুগের মধ্যে মতাদর্শগত সংঘর্ষ ঘটছিল। কিতাবাতাকে চিকাফুসার মতো অভিজাত যোদ্ধারা বুঝতে পারতেন যে পুনর্গঠনে যোদ্ধাদের অংশগ্রহণ প্রয়োজন, তবে মতাদর্শগত স্তরে তাকাউজির সঙ্গে তার তীব্র মতভেদ ছিল, যা ভবিষ্যতের নেতৃত্বেও প্রভাব ফেলেছিল। যুদ্ধের মধ্যেই তৈরি হয় নতুন মুরোমাচি শাসন, যা কেম্মু পুনর্গঠনের ব্যর্থতার সরাসরি ফলাফল ছিল।
== অনুগত সম্পর্ক ও মুরোমাচি বাকুফুর উত্থান ==
উভয় পক্ষের মধ্যে তীব্র লড়াই প্রায় ত্রিশ বছর ধরে চলে। এর পর নতুন যোদ্ধা শাসনের সমর্থকরা আধিপত্য লাভ করে। আশিকাগা তাকাউজি ক্ষমতা কেন্দ্রীকরণের জন্য তিনটি মূল নীতি অনুসরণ করেন:
১. হানজেই বা অর্ধেক কর নীতি, যা জমিদার জমি ভাগ করে দেয়;
২. সামুরাই অনুগতদের (গোকেনিন) সঙ্গে অনুগত্য সম্পর্ক;
৩. শুগো প্রভুদের বাকুফু গভর্নর ও প্রাদেশিক সামন্ত হিসেবে ব্যবহার (এটি পরে বিস্তারিতভাবে আলোচিত)।
এই দুই কাঠামো—সামুরাই অনুগত্য ও শুগো নিয়ন্ত্রণ ১৩৫০-এর দশকে শাসন প্রতিষ্ঠার পর গড়ে ওঠে এবং শোগুনের ক্ষমতা নির্ধারণে মুখ্য ভূমিকা রাখে। প্রশাসনিক কাঠামোগুলো বোঝা কঠিন, কারণ কান্নো বিশৃঙ্খলার পর প্রাথমিক প্রশাসনে ব্যাপক পরিবর্তন আসে। এগুলোর অধিকাংশই কিয়োতো ও ইয়ামাশিরো প্রদেশেই সীমাবদ্ধ ছিল।
=== কামাকুরা থেকে মুরোমাচি পর্যন্ত জমিদারি (শোয়েন) ব্যবস্থার বিবর্তন ===
হানজেই অর্ধ কর নীতিটি সরাসরি ও তীব্র: এটি এস্টেট জমিতে সামুরাই আক্রমণের বৈধতা স্বীকৃতি দেওয়ার একটি কঠোর নীতি ছিল। কিন্তু একই সঙ্গে এস্টেট বা জমিদারি ব্যবস্থার অস্তিত্ব রক্ষা করার নিশ্চয়তা দিয়েছিল।
এস্টেট সিস্টেম কীভাবে পরিবর্তিত হয়েছিল তা পরীক্ষা করার জন্য আমাদের প্রথমে কামাকুরা আমলের দিকে তাকাতে হবে। সামুরাই স্টুয়ার্ড (জিতো) এবং কামাকুরা শাসনের (১১৮৫-১৩৩৩ খ্রিষ্টাব্দ) মধ্যে করদ সম্পর্ক মধ্যস্থতাকারী ছিল। কারণ তারা সামুরাই স্টুয়ার্ডকে (জিতো) এমন একটি অবস্থানে রেখেছিল যেখানে তিনি একই সাথে কামাকুরা এবং কিয়োতো উভয়ের কাছেই জবাবদিহি করেছিলেন। সামুরাই হিসাবে নির্বাচিত হয়ে তাকে একটি কল্পিত আত্মীয়তার বন্ধনে তার বাড়ির সদস্য হিসাবে শোগুনের সাথে সরাসরি করদ সম্পর্কের মধ্যে রাখা হয়েছিল। স্টুয়ার্ড হিসাবে সামুরাই একজন শোগুনাল হাউসম্যান (গোকেনিন) এবং বিশ্বস্ত করদ রাজা হয়েছিলেন। তিনি এমন একটি এস্টেটের পরিচালনার ভার পেয়েছিলেন, যা আইনত কিয়োতোতে একজন আভিজাত্যের মালিকানাধীন ছিল (ভার্লি ১৯৬৭: ২২-৫)। এখানেই কামাকুরা করদ সম্পর্কের মধ্যস্থতাকারী প্রকৃতি রয়েছে। কামাকুরায় যোদ্ধা শাসনের সামন্ত হিসাবে তিনি সামরিক পরিষেবা এবং বকেয়া আকারে শোগুনের কাছে জবাবদিহি করেছিলেন। তবে একজন অভিজাতের মালিকানাধীন এস্টেটের পরিচালক হিসাবে তাকে পরবর্তীকালে খাজনা দিতে হয়েছিল। আমরা প্রথমে কামাকুরা করদ রাজ্য হিসাবে সামুরাই স্টুয়ার্ডের প্রকৃতি পরীক্ষা করব এবং তারপরে আশিকাগা তাকাউজির অধীনে উদ্ভূত করদ বন্ধনগুলো পরীক্ষা করব।
কামাকুরা শাসন ব্যবস্থার স্থায়িত্ব শাসকদের প্রভাবশালী যোদ্ধাদের পরিচালনার অধিকার (জিতো শিকি) এবং অভিজাত মালিকের খাজনা ও জমির মালিকানার অধিকারের গ্যারান্টির উপর নির্ভর করেছিল। সামুরাই স্টুয়ার্ডদের সাথে করদ সম্পর্কের মাধ্যমে, নতুন যোদ্ধা শাসনকে পুরানো এস্টেট সিস্টেমে স্থাপন করা হয়েছিল। প্রক্রিয়াটিতে আপস্টার্ট যোদ্ধা এবং অভিজাতদের মধ্যে সুপ্ত থাকা দ্বন্দ্বমূলক প্রবণতাগুলোর সেতুবন্ধন সৃষ্টি করেছিল।
যেসব সামুরাই স্টুয়ার্ডদের শোগুন বা হোজো রিজেন্টদের সাথে সরাসরি করদ সম্পর্ক ছিল, তারা হাউজকিপার (গোকেনিন) নামেও পরিচিত ছিল। কামাকুরা গোকেনিনের ঐতিহ্য একটি মর্যাদাপূর্ণ ঐতিহ্য ছিল এবং মুরোমাচি যুগে যা ঘটেছিল তার নজির স্থাপন করেছিল। ইয়োরিতোমো এবং হোজো রিজেন্টরা কেবল তাদের নিজস্ব গোকেনিনদের নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে উদ্বিগ্ন ছিল। তারা সচেতনভাবে তাদের নিজস্ব করদ রাজ্যগুলোর জমি বিরোধের মামলা শোনার মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল এবং তাদের অনুসারীদের স্টুয়ার্ডশিপ অধিকারকে পুরস্কৃত করেছিল। এটি অন্যান্য গোষ্ঠীর অন্যান্য বিরোধগুলো নাগরিক প্রশাসন দ্বারা যত্ন নেওয়া যেতে দেয়। এই নজিরটি আশিকাগা শোগুনরা অনুসরণ করেছিল।; কারণ তারা মুরোমাচি আমলে শুগো প্রভুদের আক্রমণের বিরুদ্ধে তাদের দেশের করদ রাজ্যগুলোর স্বার্থ রক্ষার চেষ্টা করেছিল।
শুগোকে কেবল প্রদেশগুলোর প্রভু হিসাবে আরও ক্ষমতা দেওয়া হয়নি। তাকাউজি এস্টেট জমি বিভক্ত করার জন্য যে অর্ধ কর নীতি (হানজেই) ব্যবহার করেছিলেন তা সামুরাই যোদ্ধাদের মালিকানাধীন জায়গীরের সংখ্যা বহুগুণ বাড়িয়ে তুলেছিল। তবে তাকাউজি আরও এগিয়ে যেতে পারতেন যদি তিনি তাঁর বিশ্বস্ত জেনারেলদের পরামর্শ অনুসরণ করতেন। কো ভাইয়েরা সম্পত্তি পুরোপুরি সরিয়ে দিতে চেয়েছিলেন। এস্টেট সিস্টেমের পুনর্বিন্যাসে যোদ্ধাদের স্বার্থ প্রাধান্য পেয়েছিল। তবে মহৎ স্বার্থ তখনও সংরক্ষিত ছিল। এস্টেট সিস্টেম সংরক্ষণে সহায়তা করার ক্ষেত্রে, অর্ধেক করের পরিমাপ এমন একটি নীতি ছিল যা তখনও যোদ্ধার অধিকারের সাথে আভিজাত্যের অধিকারকে সংযুক্ত করতে সক্ষম হয়েছিল।
অর্ধ কর নীতি যুদ্ধের সময় সংগৃহীত সামরিক রেশন (হায়রোরিয়োশো) এর জন্য মনোনীত জরুরি কর হিসাবে শুরু হয়েছিল: মিনো, ওমি এবং ওওয়ারি প্রদেশের নির্দিষ্ট উপাসনালয়, সমাধি এবং এস্টেট জমি থেকে অর্ধেক আয় মুরোমাচি শাসনের সেনাবাহিনীকে সমর্থন করার জন্য নেওয়া হবে। ক্রমবর্ধমানভাবে, এটি পুনরায় ব্যাখ্যা করা হয়েছিল এবং তাকাউজি দ্বারা করদ রাজ্যগুলোর প্রয়োগের উদ্দেশ্যে অর্ধেক জমির স্থায়ী অধিগ্রহণ হিসাবে পরিবর্তন করা হয়েছিল। এটি ছিল পূর্ববর্তী অনুশীলন থেকে আমূল প্রস্থান। উপরে উল্লিখিত হিসাবে, কামাকুরা আমলে, বেশিরভাগ জমি, বিশেষত হোনশুর কেন্দ্রীয় ও পশ্চিম প্রদেশগুলোতে, অভিজাতদের মালিকানাধীন ছিল। তবে কামাকুরা হাউস করদ রাজ্যগুলোর দ্বারা স্টুয়ার্ডশিপ (জিতো শিকি) হিসাবে পরিচালিত হয়েছিল। এটি এস্টেট প্রতিষ্ঠানে একত্রে অভিজাতদের স্বার্থ এবং যোদ্ধাদের স্বার্থ উভয়কেই একত্রিত করেছিল। অর্ধ কর ব্যবস্থার আবির্ভাবের সাথে সাথে তাকাউজি সম্পত্তির অর্ধেক জমি মহৎ নিয়ন্ত্রণ থেকে সরিয়ে তার যোদ্ধাদের জায়গীরে দিচ্ছিলেন।
=== স্থানীয় সামুরাই (কোকুজিন) এর উত্থান ===
নানবোকু-চো দ্বন্দ্ব শুরু হলে করদ সম্পর্ক আরও গুরুতর হয়ে ওঠে। সামন্তদের আনুগত্য একটি বড় বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তুলনামূলকভাবে শান্তিপূর্ণ কামাকুরা সময়কালে, সামরিক দক্ষতাগুলো প্রিমিয়ামে রাখা হয়নি। তবে গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পরে এই মানদণ্ডটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে (ভর ১৯৮৯: ১১৩-৪,১১৭)। ১৩৩৬ পরবর্তী পরিবেশের করদ সম্পর্কগুলোতে একটি নতুন মধ্যস্থতাকারী বিবেচনা উদ্ভূত হয়েছিল: আনুগত্যের প্রয়োজন এবং প্রভু এবং করদ রাজ্যের মধ্যে একটি শক্ত বন্ধন। প্রতিদ্বন্দ্বীদের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তার ফলস্বরূপ শোগুন এবং তার করদ রাজ্যগুলোর মধ্যে দৃঢ় সম্পর্ক আবির্ভূত হয়েছিল। করদ সম্পর্ক হয় আশিকাগা দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল বা আশিকাগার প্রতি অনুগত উদীয়মান শুগো প্রভুদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত অন্য যোদ্ধা শ্রেণিবিন্যাসের কাছে সম্ভাব্য যোদ্ধা হারানোর ঝুঁকি ছিল এবং সবচেয়ে খারাপ প্রতিদ্বন্দ্বী সাম্রাজ্যবাদী জেনারেলদের দ্বারা। সুতরাং, সত্যিকার অর্থে, গৃহযুদ্ধের সময়কালে যোদ্ধা নিয়োগের মাধ্যমে সম্ভাব্য দ্বন্দ্ব দূর করতে করদ বন্ধন ব্যবহার করা হয়েছিল।
একই সময়ে সামুরাই এবং শোগুনের মধ্যে করদ বন্ধন শক্ত হয়েছিল, এই সম্পর্কগুলোর বৈধতা কঠোরভাবে পরীক্ষা করা হয়েছিল। এই আপাত বৈপরীত্যটি যৌক্তিকভাবে সামুরাই আনুগত্যের অনেক দাবির অস্তিত্ব দ্বারা ব্যাখ্যা করা হয়েছে যা উপস্থাপিত হয়েছিল: প্রতিদ্বন্দ্বী সাম্রাজ্যবাদী জেনারেল, শুগো প্রভু এবং এমনকি স্থানীয় সামুরাই জোটের প্রতি।
কয়েকটি উদাহরণ শোগুন আশিকাগা তাকাউজি এবং তার নতুন গোকেনিনদের মধ্যে করদ সম্পর্কের উত্থানকে চিত্রিত করবে। ১৩৩৬ সালে তাকাউজি কিউশুতে পশ্চাদপসরণ করার পরে আকি প্রদেশে আশিকাগা স্বার্থ রক্ষার দায়িত্ব পেলে কোবায়াকাওয়া পরিবার অনুগত করদ রাজ্য হয়ে ওঠে (আর্নেসেন ১৯৮৫: ১০৮)। আরেকটি আকি সামুরাই পরিবার মোরি বংশ, ১৩৩৬ সালে তাকাউজির করদ রাজ্য হয়ে ওঠে এবং কান্নো ঘটনার প্রাদুর্ভাব না হওয়া পর্যন্ত কো মোরোয়াসুর অধীনে দায়িত্ব পালন করে। ১৩৫০ এর দশকে মোরি তাকাউজি তাদায়োশি এবং তার দত্তক পুত্র তাদাফুয়ুর শত্রুদের পক্ষে ছিল এবং ১৩৬০ এর দশক পর্যন্ত তারা আবার শোগুনের করদ রাজ্য হিসাবে ফিরে আসেনি (আর্নেসেন ১৯৮৫: ১১৪-৫)। কাওয়াশিমা বংশ এবং কিয়োতোর নিকটবর্তী অন্যান্য যোদ্ধা পরিবারগুলোর সাথে করদ সম্পর্ক ১৩৩৬ সালের গ্রীষ্মে তাকাউজি রাজধানী পুনরায় দখলের অভিযানে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তাকাউজির স্বাক্ষর বহনকারী করদের শর্তাদি সম্পর্কিত একটি নথির কারণে কাওয়াশিমা মামলাটি যথেষ্ট আগ্রহের বিষয়: তারা কাওয়াশিমা এস্টেটের অর্ধেকেরও বেশি স্টুয়ার্ডশিপ অধিকারের (জিতো শিকি) জন্য সামরিক পরিষেবা বিনিময় করবে, বাকি অর্ধেকটি ভাড়া আকারে অভিজাত মালিকের দখলে রেখে দেবে।
=== কান্নো ঘটনা এবং ১৩৫০ এর দশকে দক্ষিণ দরবারের পুনরুত্থান ===
=== ঘটনাবলী ===
তাকাউজি নামমাত্র শোগুন ছিলেন। দশ বছরেরও বেশি সময় ধরে তাদায়োশি তার জায়গায় শাসন করেছিলেন। দুই ভাইয়ের মধ্যে সম্পর্ক অবশ্য "কান্নো ঘটনা" নামে একটি অত্যন্ত গুরুতর পর্বের মাধ্যমে ধ্বংস হয়েছিল। এটি এমন একটি ঘটনা যা কান্নো যুগ (১৩৫০-১৩৫১) থেকে নামকরণ করা হয়েছে। এই সময়েই দুই ভাইয়ের মধ্যে বিভেদের ঘটনাটি ঘটেছিল। এটি পুরো দেশের জন্য খুব গুরুতর পরিণতি বয়ে আনে। তাকাউজি কো নো মোরোনাওকে তার শিটসুজি বা ডেপুটি বানানোর ফলেই দুজনের মধ্যে ঝামেলা শুরু হয়েছিল। তাদায়োশি মোরোনাওকে পছন্দ করতেন না। তাই তাকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার অন্য প্রতিটি প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়ে তাকে হত্যা করার চেষ্টা করেছিলেন। তার এই ষড়যন্ত্র ফাঁস হয়ে যায়। ফলে ১৩৪৯ সালে তাদায়োশি মোরোনাও সরকার ত্যাগ করে মাথা ন্যাড়া হয়ে কেইশিন নামে বৌদ্ধ সন্ন্যাসী হতে বাধ্য হন। ১৩৫০ সালে তিনি বিদ্রোহ করে নিজের ভাইয়ের শত্রুদের সাথে যোগ দেন। সেই শত্রুরা ছিল দক্ষিণ দরবারের সমর্থক। সম্রাট গো-মুরাকামি তাকে তার সমস্ত সৈন্যের জেনারেল নিযুক্ত করেছিলেন। ১৩৫১ সালে তিনি তাকাউজিকে পরাজিত করে কিয়োতো দখল করেকামাকুরায় প্রবেশ করেন। একই বছর তিনি মিকেজে (সেৎসু প্রদেশ) কো ভাইদের বন্দী করে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেন। পরের বছর তার ভাগ্য ঘুরে যায়। তিনি সাত্তায়ামায় তাকাউজির কাছে পরাজিত হন। ভাইদের মধ্যে একটি পুনর্মিলন সংক্ষিপ্ত প্রমাণিত হয়েছিল। তাদায়োশি কামাকুরায় পালিয়ে যান, কিন্তু তাকাউজি সেখানে সেনাবাহিনী নিয়ে তাকে তাড়া করেন। তাইহেইকি অনুসারে ১৩৫২ সালের মার্চ মাসে আপাতদৃষ্টিতে দ্বিতীয় পুনর্মিলনের অল্প সময়ের মধ্যেই তাদায়োশি হঠাৎ বিষক্রিয়ায় মারা যান।
=== পটভূমি ===
মুরোমাচি শাসনকে বিভক্ত করে এমন চরম বিভাজনকারী কান্নো ঘটনা একীকরণকে সাময়িকভাবে আটকে রেখেছিল। যেহেতু এই ঘটনাটি আমলাতান্ত্রিক অন্তর্দ্বন্দ্বের ফলস্বরূপ ঘটেছে, তাই প্রথমে আমলাতান্ত্রিক অঙ্গগুলোর দিকে নজর দেওয়া দরকার, তারপরে দ্বন্দ্বটি কোথায় উত্থিত হয়েছিল তা পরীক্ষা করা দরকার।
প্রাথমিক শাসনের আমলাতান্ত্রিক অঙ্গগুলো আশিকাগা ভাইদের পৃথক এখতিয়ারের অধীনে ছিল। তাকাউজি ও তাদায়োশি একটি দ্বিখণ্ডিত প্রশাসন তৈরি করে। তাকাউজি হাউস করদ রাজ্যগুলোর নেতা ছিলেন এবং এভাবে বোর্ড অফ রিটেইনার্স (সামুরাই ডোকোরো) এবং পুরষ্কার অফিস (ওনশো-কাটা) নিয়ন্ত্রণ করেছিলেন, যখন তাদায়োশি শাসনের বিচারিক কার্যক্রমের উপর তদন্ত বোর্ড নিয়ন্ত্রণকারী আমলাতান্ত্রিক নেতা ছিলেন (সাতো ১৯৭৭: ৪৮; সাতো ১৯৭৭:৪৮)। গ্রসবার্গ ১৯৮১: ২১-২৪)।
রিটেইনার্স বোর্ড হাউস করদ রাজ্যগুলোর প্রতি শৃঙ্খলাবদ্ধ অঙ্গ হিসাবে ব্যবহৃত হয়েছিল: ব্রিগেন্ডেজ এবং অন্যান্য অপরাধের বিচার করা হয়েছিল (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ৮৮,১০৭)। পুরষ্কারের অফিসটি যোগ্য করদ রাজ্যগুলোর দাবি শুনতে এবং বন্দী করার জন্য ব্যবহৃত হয়েছিল। পুরষ্কারের অফিসটি নতুন যোদ্ধাদের তালিকাভুক্ত করতে ব্যবহৃত হয়েছিল যারা শাসনের সম্ভাব্য প্রতিপক্ষ ছিল। প্রধান বিচারিক অঙ্গ, কোডজুটরস বোর্ড, উত্তরাধিকারের সাথে জড়িত সমস্ত জমি বিরোধ মামলা এবং ঝগড়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ৮৮)। সমস্ত বিচারিক কাজগুলো একটি প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর মধ্যে আইনীভাবে দ্বন্দ্ব এবং বিরোধ নিষ্পত্তি করার জন্য ব্যবহৃত হয়। নতুন শাসনের জন্য আমলাদের (বুগিওনিন) পতনের আগে হোজো শাসনের দায়িত্ব পালনকারীদের পদমর্যাদা থেকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ৯০)। তারা মূল্যবান ছিল কারণ তারা পড়তে এবং লিখতে জানত, এমন একটি কাজ যা বেশিরভাগ যোদ্ধাদের নাগালের বাইরে।
১৩৫০ এর দশকে কান্নো ঘটনা এবং এর পরিণতি প্রাথমিক শাসনকে বিভক্ত এবং প্রায় ধ্বংস করে দিয়েছিল (সানসোম ১৯৬১: ৭৮-৯৫)। আপাতদৃষ্টিতে ঘটনাটি তাকাউজির ভাই আশিকাগা তাদায়োশির বিরুদ্ধে কো ভ্রাতৃদ্বয়, মোরোনাও এবং মোরোয়াসুর বিরুদ্ধে তাকাউজির সমর্থিত একটি উপদলীয় লড়াইয়ের মতো দেখায় (উইন্টারস্টিন ১৯৭৪: ২১৫; আর্নেসেন ১৯৭৯: ৫৩-৫৪)। দ্বন্দ্বটি এস্টেট সিস্টেম সম্পর্কে মতামতের পার্থক্য এবং এই ভিন্ন মতামতের পিছনে তাকাউজি ও তাদায়োশি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত বিভিন্ন আমলাতন্ত্রের দিকে ইঙ্গিত করা যেতে পারে। সামগ্রিকভাবে তাকাউজি ছিলেন উদ্ভাবক এবং তাদায়োশি রক্ষণশীলতার ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন, অতীতের নীতিগুলো সংরক্ষণ করতে চেয়েছিলেন। করদ রাজ্য ব্যান্ডের সামরিক নেতা হিসাবে তাঁর ক্ষমতায়, তাকাউজি দুটি জিনিস করেছিলেন যা তাদায়োশির সাথে সাংঘর্ষিক ছিল: তিনি যুদ্ধক্ষেত্রের বীরত্বের পুরষ্কার হিসাবে শুগো পোস্টগুলোতে করদ রাজ্যগুলোর নিয়োগ করেছিলেন এবং তিনি শোয়েন এস্টেটগুলো ভাগ করে দিয়েছিলেন যার অর্ধেক তার করদ রাজ্যগুলোর ফিফ বা স্টুয়ার্ডশিপ হিসাবে দিয়েছিলেন। তাদায়োশি কেম্মু ফর্মুলারি খসড়া তৈরির মাধ্যমে এই নীতিগুলোর কঠোরভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন যা যুদ্ধক্ষেত্রের সেবার পুরষ্কার হিসাবে শুগোর নিয়োগের বিরোধিতা করেছিল। তিনি কোডজুটরস বোর্ডের নেতা হিসাবে তাঁর ক্ষমতায় এস্টেট জমিগুলোর যে কোনও ধরণের সরাসরি বিভাজনের বিরোধিতা করেছিলেন (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ২৩-৪)। তাকাউজি এবং তার ভাই তাদায়োশির নীতিগুলোর মধ্যে একটি স্পষ্ট বিভাজন ছিল।
দু'জন রাষ্ট্রপ্রধান থাকার ফলে দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছিল যাদের নীতিগুলো একে অপরের সাথে সাংঘর্ষিক। এই ঘটনার পরের ঘটনাবলী সাক্ষ্য দেয় যে শাসকগোষ্ঠী কতটা সমর্থন হারাতে শুরু করেছিল। আশিকাগা পরিবারের সদস্যদের মধ্যে গভীর বিভাজন বিরোধীদের শক্তিশালী করেছিল। মুরোমাচি শাসনের উভয় স্তম্ভ, তাকাউজি ও তাদায়োশি তাদের নিজস্ব এজেন্ডা চাপিয়ে দেওয়ার জন্য দক্ষিণ দরবারে টোকেন জমা দিয়েছিলেন: কো ভাইদের ধ্বংস করার ইচ্ছায় তাদায়োশি এবং অন্যদিকে তাদায়োশিকে পরাজিত করার আকাঙ্ক্ষায় তাকাউজি এটি করেন। হাস্যকরভাবে, যদিও দক্ষিণ দরবার শত্রু ছিল, শাসক সদস্যরা একে অপরকে আক্রমণ করার ন্যায্যতা হিসাবে এটি ব্যবহার করেছিল।
=== প্রভাব ===
এই ঘটনার অন্যতম প্রধান প্রভাব ছিল দক্ষিণ দরবারের যুদ্ধের প্রচেষ্টাকে পুনরুজ্জীবিত করা। অনেকাংশে এই নতুন আক্রমণাত্মক মুরোমাচি শাসনের টার্নকোটদের দ্বারা সম্ভব হয়েছিল। কামাকুরায় তাকাউজির বিরুদ্ধে পরিচালিত ১৩৫২ সালের সাম্রাজ্যবাদী আক্রমণ তাদায়োশির প্রাক্তন অনুসারীদের বিপুল সংখ্যক দ্বারা সম্ভব হয়েছিল যারা সাম্রাজ্যবাদী নেতা নিত্তা যোশিমুনের সমর্থক হয়েছিলেন। ১৩৫৩ সালে কিয়োতোর বিরুদ্ধে সাম্রাজ্যবাদী আক্রমণ সম্ভব হয়েছিল শুগো প্রভু ইয়ামানা টোকিউজির দলত্যাগের মাধ্যমে। তাদায়োশির দত্তক পুত্র আশিকাগা তাদাফুয়ু ছিলেন দলত্যাগের অসামান্য উদাহরণ: ১৩৫৩ এবং ১৩৫৪ সালে কিয়োতোর বিরুদ্ধে সাম্রাজ্যবাদী আক্রমণের সময় তিনি দক্ষিণ দরবারের পশ্চিমা সেনাবাহিনীর নেতা হয়েছিলেন।
=== শুগো প্রভুদের উত্থান ===
এই যুগের উত্থান-পতন বুঝতে হলে আমাদের তখন শোগুন-শুগো প্রভু সম্পর্কের উদাহরণের দিকে ফিরে যেতে হবে। নানবোকু-চো যুগের বৈশিষ্ট্যযুক্ত প্রতিযোগিতামূলক আনুগত্য বিভিন্ন স্তরে খেলা হয়েছিল। একবারে আমরা মোরির মতো স্থানীয় সামুরাই পরিবারগুলোর দলত্যাগ দেখতে পাই - ভয়াবহ বিভাজনকারী কান্নো ঘটনার সময় অস্বাভাবিক নয়। উচ্চতর স্তরে, শুগো প্রভুরা চতুর্দশ শতাব্দীর শেষার্ধ পর্যন্ত বিপজ্জনকভাবে স্বাধীন পদ্ধতিতে কাজ চালিয়ে যান।
আশিকাগা শোগুন তাকাউজি পশ্চিম ও মধ্য জাপানের বিভিন্ন প্রদেশে শাখা পরিবারের সদস্যদের শুগো প্রভু হিসাবে নিয়োগ করেছিলেন। শুগো গভর্নর হিসাবে কাজ করেছিলেন এবং শাসন কেন্দ্র এবং পেরিফেরির মধ্যে মধ্যস্থতার দায়িত্ব পালন করেছিলেন। স্থানীয় গভর্নর এবং তাদের নিজস্ব অধিকারে প্রভু হিসাবে, তারা প্রদেশগুলোতে শাসনের কর্তৃত্বের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন। তারা প্রদেশব্যাপী নিয়োগের কারণে সামুরাই হাউসম্যানের চেয়ে অনেক বেশি কর্তৃত্ব অর্জন করেছিল, একক এস্টেটে সীমাবদ্ধ ছিল না। এখানে আমরা মুরোমাচি যুগের প্রথম দিকে আশিকাগা শোগুনের সাথে তাদের সম্পর্কের দিকে নজর দেব।
শুগো নিয়োগের সাফল্য আত্মীয়তার বন্ধনের দিকে নয়, বরং অন্যান্য কারণের মাধ্যমে তারা শাসনের সাথে কতটা ভালভাবে আবদ্ধ ছিল তার উপর নির্ভর করে। কামাকুরা আমল থেকে যোদ্ধা পরিবারগুলো মস্তকপদ অধিকার (সোরিও) ব্যবহার করে চিহ্নিত করা হয়েছিল,খানে শাখা পরিবারগুলোর উপর নেতৃত্ব দেওয়া হয়েছিল মূল পরিবারের নেত্রী. যাইহোক, মস্তকপদ অধিকারগুলো অত্যন্ত অস্থির ছিল কারণ শাখা পরিবারগুলো প্রায়শই তাদের নিজস্ব স্বাধীনতা দাবি করেছিল, বিশেষত নতুন প্রজন্ম আত্মীয়তার বন্ধনকে হ্রাস করার জন্য আবির্ভূত হয়েছিল (মাস ১৯৮৯: ১১৯)।
সেদিনের প্রয়োজনীয়তাগুলো শুগো পদে নিযুক্ত ব্যক্তিদের দ্বারা সামরিক দক্ষতার সফল ব্যবহারের আহ্বান জানিয়েছিল। আশিকাগা শোগুন এবং স্থানীয় সামুরাইয়ের মধ্যে করদ সম্পর্কের মতো, শোগুন এবং শুগো প্রভুদের মধ্যে বন্ধন একই অর্থে মধ্যস্থতাকারী ছিল: প্রতিযোগিতামূলক আনুগত্যের জগতে, আশিকাগা শোগুনরা শুগো পোস্টগুলোতে যোদ্ধাদের নিয়োগ দিয়ে এই পুরুষদের নিজের আরও কাছাকাছি বেঁধে রাখার চেষ্টা করেছিল। সফল জেনারেলরা, যারা একই সাথে শাখা পরিবারের প্রধান ছিলেন যারা তাকাউজির বিদ্রোহের সাথে তাদের ভাগ্যে নিক্ষেপ করেছিলেন, তারাই প্রায়শই এই পদে পুরস্কৃত হন (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ২৩)। তাদের শাসকগোষ্ঠীর সাথে বেঁধে না রাখার মূল্য ছিল তাদের সমর্থন হারানো, এবং শাসন থেকে তাদের স্বাধীনতাকে উত্সাহিত করা।
শুগো পদে নিযুক্ত আশিকাগা শাখা পরিবারগুলোর মধ্যে হোসোকাওয়া, ইয়ামানা, ইমাগাওয়া, হাতাকেয়ামা, নিকি, কিরা, শিবা, ইশিদো এবং ইশিকি পরিবার অন্তর্ভুক্ত ছিল (পাপিনোট ১৯৭২: ২৭)। নির্দিষ্ট প্রদেশগুলোতে, আশিকাগা মূল শুগো পরিবারগুলোকে স্থানচ্যুত করতে ব্যর্থ হয়েছিল: কেন্দ্রীয় প্রদেশগুলোতে সাসাকি, তোগাশি, তাকেদা এবং ওগাসাওয়ারা এবং কিউশুতে শিমাজু, ওটোমো এবং শোনি (আর্নেসেন ১৯৭৯: ৬০)। মধ্য ও পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশগুলোতে প্রায় অর্ধেক নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত। সময় কান্নো ঘটনা, নতুন নিয়োগপ্রাপ্তদের সাথে আশিকাগা হেডশিপ (সোরিও) সম্পর্ক এই শুগোকে শাসনের প্রতি সরাসরি বিদ্রোহ থেকে মোটেও আটকাতে পারেনি। প্রকৃতপক্ষে, শুগো প্রভুদের তুলনায় এই সময়কালে শাসনের জবরদস্তিমূলক প্রতিষ্ঠানগুলোর শোচনীয়ভাবে অভাব ছিল।
শুগো প্রভুরা যা খুশি তা করতে বাধা দিয়েছিল তা হলো নিয়োগের ক্ষীণ যোগসূত্র, বিশেষত নতুন নিয়োগপ্রাপ্তরা যারা তাকাউজির সাথে আবির্ভূত হয়েছিল - শাসনের সাথে তাদের সংযোগ বজায় রাখার জন্য তাদের একটি স্বার্থান্বেষী স্বার্থ ছিল, যতক্ষণ না তারা তখনও প্রদেশগুলোতে তাদের ক্ষমতা তৈরি করতে পারেনি। যে প্রাদেশিক পরিবারগুলো কামাকুরা আমলে ক্ষমতা অর্জন করেছিল, যেমন সুও এবং নাগাতো প্রদেশের ওচি এবং সাতসুমা প্রদেশের শিমাজু, তারা তাদের নিজস্ব অধিকারে প্রভু ছিল এবং এইভাবে, শাসন এবং তাদের শুগো উপাধির উপর কম নির্ভরশীল ছিল।
১৩৭২ এর পর শুগো প্রভুদের মুরোমাচি শাসনের জন্য কর (তানসেন) সংগ্রহের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। এই করগুলো অভিজাত থেকে শুরু করে সামুরাই পর্যন্ত জমির মালিকদের প্রতিটি শ্রেণীর উপর আঘাত করে। মধ্যস্থতাকারী হিসাবে, শুগো প্রতিটি পৃথক জমির মালিকের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় করের পরিমাণ বাড়িয়ে লাভ করেছিল (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ৭৫)। এই তারিখের মধ্যে, তারা গভর্নর হিসাবে অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছিল এবং তাই তাদের একটি নতুন শাসন কেন্দ্রিক কর তদারকির অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।
=== শুগো সিভিল ফাংশন এবং শুগো উইকের ব্যবহার ===
যা ফোকাসে আসে তা হলো শুগো প্রভু দ্বারা সিভিল গভর্নরের অফিসের ধীরে ধীরে কিন্তু অবিচলিত দখল এবং সামন্ততান্ত্রিক বন্ধনকে কার্যকর করার জন্য এই অবস্থানের ব্যবহার। শুগো পূর্ববর্তী গভর্নরদের মতো তার ঐতিহ্যবাহী প্রশাসনিক দক্ষতার মাধ্যমে নয়, বরং নানবোকু-চো যুদ্ধের সময় এস্টেটের জমি দখলকারী সামুরাইয়ের সাথে করদের মধ্যস্থতাকারী সম্পর্কের মাধ্যমে এবং সরকারী জমিতে বসবাসকারী সামুরাইদের সাথে (কোকুগারিও) কার্যকর করতে সক্ষম হয়েছিল। শুগো প্রভুরা উভয়ই গভর্নর ছিলেন, মুরোমাচি শাসন কর্তৃক তাদের দেওয়া কিছু বৈধ দায়িত্ব ছিল এবং সামন্ত প্রভুরা সামন্তদের প্ররোচিত করার চেষ্টা করেছিলেন।
নানবোকু-চো যুদ্ধ অভিজাতদের প্রতি নির্দয় ছিল যাদের জমিগুলো পূর্ববর্তী সামুরাই স্টুয়ার্ডরা সরাসরি নিয়েছিল এবং অবৈধভাবে ব্যক্তিগত হোল্ডিংয়ে (চিগিও) রূপান্তরিত হয়েছিল। এই বৈপ্লবিক বিকাশ পরবর্তীকালে সংঘটিত এস্টেট ব্যবস্থার সম্পূর্ণ তরলকরণের অগ্রদূত ছিল। শুগো প্রভুরাও তাদের উপর সামুরাই চাপিয়ে তাদের নিয়ন্ত্রণাধীন প্রাক্তন এস্টেটগুলো জড়ো করে এই পুরো জমি দখলে অংশ নিয়েছিল (নাগাহারা ১৯৮২: ১২)। হাস্যকরভাবে, যুদ্ধের উচ্চতায় জমিতে সামুরাই দখলদারিত্ব দ্বারা সৃষ্ট এই আইনহীন পরিস্থিতি ক্ষুদ্র সামুরাই থেকে কোকুজিন পর্যন্ত সমস্ত জমিদার স্বার্থের জন্য সুরক্ষা সমস্যা সৃষ্টি করেছিল এবং স্থানীয় সামুরাইদের মধ্যে করদ আকারে শুগো প্রভুদের সাথে মধ্যস্থতাকারী সম্পর্ক অর্জনের জন্য আরও প্রেরণা সরবরাহ করেছিল। শুগোর সাথে নিজেকে বেঁধে রেখে, তারা প্রদেশের এমন এক ব্যক্তির সাথে নিজেকে মিত্রতা করতে সক্ষম হয়েছিল যিনি একরকম স্থানীয় সুরক্ষা সরবরাহ করতে পারেন।
শুগো লর্ড এবং কোকুজিনের মধ্যে করদ সম্পর্ক প্রায়শই এস্টেটগুলোতে শুগো চুক্তি (শুগো-উকে) নামে পরিচিত একটি ত্রিমুখী মধ্যস্থতাকারী টাই হয়: একজন অভিজাত মালিক রাজধানীতে বসবাসকারী মালিককে সরবরাহ করা গ্যারান্টিযুক্ত বছরের শেষের (নেঙ্গু) আয়ের বিনিময়ে শুগোকে তার এস্টেট পরিচালনার দায়িত্ব দিতেন। শুগো প্রভু তখন ম্যানেজার হিসাবে সেই এস্টেটগুলোতে করদ রাজ্য সামুরাই (হিকান) নিযুক্ত করেছিলেন (মিয়াগাওয়া ১৯৭৭: ৯২; মিয়াগাওয়া ১৯৭৭: ৯২)। নাগাহারা ১৯৮২: ১৪)। অনুমিতভাবে, শুগো চুক্তিগুলো শুগো প্রভু, সামুরাই কোকুজিন এবং আভিজাত্যের স্বার্থকে একত্রে বেঁধেছিল। তবে স্বার্থের সমতার ভিত্তিতে ছিল না। তারা সত্যই এস্টেটগুলোতে শুগো দখলের যন্ত্র ছিল। চুক্তির মধ্যস্থতাকারী প্রকৃতি সম্পর্কে কোনও সন্দেহ নেই। কারণ এটি তিনটি গোষ্ঠীর স্বার্থকে সংযুক্ত করেছিল। তবে এটি শুগো প্রভুর পক্ষে সবচেয়ে অনুকূল ছিল যিনি এই যন্ত্রটি স্থানীয় সামুরাই (কোকুজিন) এর সাথে করদের সম্পর্ক প্রসারিত করতে এবং একই সাথে আভিজাত্যের ব্যয়ে তার জমি বেস প্রসারিত করতে ব্যবহার করেছিলেন। শুগো চুক্তি (শুগো-উকে) ১৩৪০ এর দশকে আবির্ভূত হয়েছিল এবং ধীরে ধীরে ব্যাপক হয়ে ওঠে (উইন্টারস্টিন ১৯৭৪: ২১১)। এই চুক্তিটি কীভাবে পরিচালিত হয়েছিল তা দেখে, এটি স্পষ্ট যে এস্টেট সিস্টেম (শোয়েন) যোদ্ধাদের দ্বারা কতটা দখল করা হয়েছিল এবং তার পূর্ববর্তী জীবনের একটি কঙ্কালে পরিণত হয়েছিল। শুগো প্রভুরা সামরিক সেবার বিনিময়ে সামুরাইকে এস্টেটের পরিচালনা দিয়েছিলেন, কিন্তু আভিজাত্যকে এস্টেটের সমস্ত ক্ষমতা ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছিল, তিনি যেখানে থাকতেন সেখানে বছরের শেষের (নেঙ্গু) আয়ের অংশের জন্য অপেক্ষা করতে হ্রাস পেয়েছিলেন। অভিজাত তার নিজের আয়ের অংশের গ্যারান্টি দেওয়ার জন্য কর অধ্যক্ষ (নেঙ্গু দাইকান) নিয়োগ করেছিলেন। তবে তাকে নিয়োগের জন্য অত্যধিক পরিমাণ অর্থ প্রদান করতে হয়েছিল। কোকুজিন এবং শুগো প্রভু দ্বারা ইতিমধ্যে হ্রাস করা অভিজাত আয় আরও হ্রাস পেয়েছিল যখন ট্যাক্স ওভারসিয়ার তার অর্ধেক নিয়েছিল। মহৎ আয়ের এই হ্রাস শুগো এবং সামুরাই উভয়ের পক্ষ থেকে ধীরে ধীরে অর্থ প্রদান না করার ফলাফল ছিল; শেষ ব্যবস্থা হিসাবে, অভিজাতরা যোদ্ধাদের উপর চাপ দেওয়ার উপায় হিসাবে মহাজন (ডিওএসও) এবং আমলাদের (বুগিওনিন) ভাড়া করেছিল। তবে এই প্রতিকারটিও দাগযুক্ত ফলাফল তৈরি করেছিল কারণ ভাড়াটে হাতগুলো যোদ্ধাদের সাথে আলোচনা করতে হয়েছিল (নাগাহারা ১৯৮২: ১৬)।
=== শুগো এবং পাবলিক ল্যান্ডস (কোকুগারিও) ===
সম্প্রতি অবধি একটি বৃহত্তর অনুপস্থিত চিত্র হলো মুরোমাচি আমলে সরকারী জমিগুলোর ভাগ্য (কোকুগারিও) এবং তাদের উপর তাদের দখলদারিত্বে শুগো প্রভুদের ভূমিকা। হেইয়ান আমলে সরকারী জমি (কোকুগারিও) এস্টেটগুলোর ব্যক্তিগত জমি (শোয়েন) থেকে পৃথক ছিল। কারণ পরবর্তীকালে রাষ্ট্রীয় কর থেকে মুক্ত ছিল। বেসরকারী এস্টেটের উত্থানের আগে, একমাত্র ধরণের জমি ছিল পুরানো নাগরিক প্রশাসনের অধীনে রক্ষণাবেক্ষণ করা সরকারী জমি। হেইয়ান আমলে শোয়েন নামে পরিচিত বেসরকারী এস্টেটগুলোর উত্থানের সাথে সাথে সরকারী জমিগুলো কোনওভাবেই অদৃশ্য হয়ে যায়নি: বিশদভাবে, সরকারী জমিগুলো ব্যক্তিগত এস্টেট থেকে খুব কম আলাদা ছিল। দুটিরই মালিক ছিলেন অনুপস্থিত মালিকরা। তারা কেবল প্রশাসনের দিক থেকে পৃথক ছিল: বেসরকারী এস্টেটগুলো সরাসরি অভিজাত কর্মকর্তাদের দ্বারা পরিচালিত হত, অন্যদিকে, সরকারী জমিগুলো প্রাক্তনদের পক্ষে সিভিল গভর্নরদের (কোকুগা বা কোকুশি) দ্বারা পরিচালিত হত (আর্নেসেন ১৯৭৯: ৯৪)। কামাকুরা আমলে, সরকারী জমিগুলো বিভিন্ন জমির মালিকদের ব্যক্তিগত হোল্ডিং (চিগিও) হিসাবে মালিকানাধীন ছিল। এই জমির মালিকদের মধ্যে অভিজাত বাড়ি, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান এবং যোদ্ধা অন্তর্ভুক্ত ছিল। কান্তো এবং উত্তর-পূর্বের পুরো অঞ্চল যোদ্ধাদের দখলে ছিল এস্টেট ম্যানেজার হিসাবে নয়, ব্যক্তিগত হোল্ডিং হিসাবে (নাগাহারা ১৯৮২: ১৫): কান্টো প্রদেশগুলো কামাকুরা শাসনকে ব্যক্তিগত জমি (চিগিওকোকু) হিসাবে দেওয়া হয়েছিল। আশিকাগা শাসন এই জমিগুলো উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছিল এবং ভাগ্যক্রমে তাদের উপরে শুগো প্রভুদের রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল (আর্নেসেন ১৯৭৯: ৯৪)।
সিভিল গভর্নর অফিসের (কোকুশি) অন্যতম প্রধান কাজ ছিল প্রদেশগুলোতে ফৌজদারি বিচারের তদারকি এবং সরকারী জমির মধ্যে ব্যক্তিগত হোল্ডিংগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ (কোকুগারিও)। তবে কামাকুরা শাসনের আবির্ভাবের সাথে তার কার্যকারিতা পরিবর্তন হতে শুরু করে (হল ১৯৬৬: ২০২-০৩)। কামাকুরা কর্তৃক শুগো কনস্টেবল নিয়োগের সাথে সাথে প্রদেশগুলোর মধ্যে সমস্ত ফৌজদারি এখতিয়ার তার হাতে চলে যায়। তবে সিভিল গভর্নর (কোকুশি) সিভিল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (রিটসুরিও) মূল কর্মকর্তা হিসাবে রয়ে গেলেন, যিনি নিশ্চিত করেছিলেন যে ব্যক্তিগত হোল্ডিং থেকে ভাড়া কিয়োতো এবং ইয়ামাশিরো প্রদেশের অনুপস্থিত অভিজাত এবং ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে (জিশা হোনজো) পৌঁছেছে। তাঁর তত্ত্বাবধানে যোদ্ধাদের ব্যক্তিগত হোল্ডিংগুলো অন্তর্ভুক্ত ছিল না, সাধারণত কানটো এবং আরও উত্তরে কেন্দ্রীভূত ছিল।
নানবোকু-চো যুদ্ধের প্রাদুর্ভাবের সাথে সাথে নাগরিক প্রশাসন (ঋতসুরিও) দ্রুত ভেঙে পড়তে শুরু করে এবং শুগো প্রভুরা, যাদের কামাকুরা আমলে প্রাদেশিক শাসনে সামান্য ভূমিকা ছিল, তারা সিভিল গভর্নরের দায়িত্ব দখল করতে আবির্ভূত হয়েছিল। এটি প্রতিটি প্রদেশে তাত্ক্ষণিকভাবে ঘটেনি। তবে শুগো প্রভুরা সরকারী জমিতে সত্যিকারের গভর্নর না হওয়া পর্যন্ত কোনও বাধা ছাড়াই ঘটেছিল (কোকুগারিও)। তারা সরকারী জমির মধ্যে ব্যক্তিগত হোল্ডিংয়ের তদারকি করার সাথে সাথে তারা বিভিন্ন ধরণের জমির মালিকদের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করেছিল: অভিজাত, বিভিন্ন ধরণের সামুরাই (কোকুজিন, জিজামুরাই) এবং ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের সাথে। তারা এই জমিগুলোতে তাদের নিজস্ব অনুসারীদের চাপিয়ে দিয়েছিল এবং সামরিক সেবার বিনিময়ে বিদ্যমান সামুরাইয়ের জমিগুলো পুনরায় নিশ্চিত করেছিল এবং অনুমানযোগ্য ফলাফলের সাথে অভিজাতদের সাথে শুগো চুক্তি প্রতিষ্ঠা করেছিল (নাগাহারা ১৯৮২: ১৫)। এস্টেটগুলোতে স্থানীয় সামুরাই (কোকুজিন) এর সাথে করদ সম্পর্কের পাশাপাশি, সরকারী জমিতে করদ বন্ধন একটি মূল সংস্থান হয়ে ওঠে যা শুগো প্রভুদের শক্তি বাড়িয়ে তোলে।
তদুপরি, ১৩৪৬ সালে মুরোমাচি শাসনের উত্থানের দশ বছর পর শোগুন শুগোকে এস্টেটগুলোতে ফসল চুরির মামলাগুলো বিচার করার এবং সাম্রাজ্যবাদী বাহিনীর কাছ থেকে নেওয়া যোগ্য করদ রাজ্যগুলোর জমির অস্থায়ী নিয়োগ দেওয়ার অধিকার দিয়ে কর্তৃত্বকে বিকেন্দ্রীকরণ করেছিল (আর্নেসেন ১৯৭৯: ৬৫)। এটি তাৎপর্যপূর্ণ ছিল, যতক্ষণ না কামাকুরা এখতিয়ারের ঐতিহ্যবাহী অঞ্চলগুলো মুরোমাচি শাসন দ্বারা "ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল"। পূর্বে, ফসল চুরি বা জমি বরাদ্দের সমস্ত মামলা কঠোরভাবে কামাকুরা প্রশাসনের অধীনে ছিল। এছাড়াও, প্রায় এই সময়ে, সাম্রাজ্যবাদী শক্তি তাদের সবচেয়ে খারাপ পরাজয়ের সম্মুখীন হচ্ছিল, শত্রুদের জমি বাজেয়াপ্ত ও পুনর্নির্ধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দিচ্ছিল। শুগো প্রভুদের এই নতুন এখতিয়ার দেওয়ার মাধ্যমে এটি তাদের নির্ধারিত প্রদেশগুলোর গভর্নর হিসাবে তাদের অবস্থানকে আরও বাড়িয়ে তোলে।
=== বৈধতা এবং ক্ষমতার সীমাবদ্ধতা ===
এই দ্বৈত ক্ষমতায় শুগো প্রভুদের গভর্নর হিসাবে পরিচালিত জমির জন্য প্রদেশগুলোতে অন্যান্য জমি সামুরাইয়ের সাথে প্রতিযোগিতা করতে হয়েছিল। তবে ব্যক্তিগতভাবে মালিকানাধীন ছিল না। অভিজাত মালিকদের মতো, একক শুগো প্রভু বেশ কয়েকটি প্রদেশের বিস্তৃত অঞ্চলে জমির মালিক ছিলেন। তাঁর ক্ষমতা ষোড়শ শতাব্দীর আঞ্চলিক প্রভুদের (দাইমিও) মতো জমির ব্যক্তিগত মালিকানার উপর নির্মিত হয়নি। তবে করদের বন্ধনের মাধ্যমে স্থানীয় সামুরাইয়ের আনুগত্যের উপর নির্মিত হয়েছিল (মিয়াগাওয়া ১৯৭৭: ৯১-৯৩)। ষোড়শ শতাব্দীর আঞ্চলিক প্রভুদের দ্বারা অনেক বেশি জবরদস্তিমূলক সম্ভাবনা প্রয়োগ করা হয়েছিল। কারণ তাদের আশেপাশের জমিগুলোর মালিকানার উপর ভিত্তি করে তাদের করদের বন্ধন ছিল: মালিক হিসাবে তারা উপযুক্ত হিসাবে জমিটি ছেড়ে দিতে পারে, খুব বেশি ঝামেলা ছাড়াই অবাধ্য করদ রাজ্যগুলোর থেকে মুক্তি পেতে পারে। চতুর্দশ শতাব্দীতে, শুগো প্রভুরা অঞ্চলটির প্রদেশব্যাপী মালিকানা দাবি করতে পারেনি: প্রথমত, ব্যক্তিগত প্রাদেশিক মালিকানার ধারণাটি তখনও অনুন্নত ছিল; দ্বিতীয়ত, তারা কখনই প্রচুর পরিমাণে ব্যক্তিগত সম্পত্তি সংগ্রহ করেনি, বরং তাদের সামন্তদের দখল করার জন্য এস্টেট জমি এবং সরকারী জমির ঐতিহ্যবাহী কাঠামো ব্যবহারের উপর নির্ভর করেছিল। এটি চতুর্দশ শতাব্দীর কেন্দ্রীয় রহস্য: এস্টেট সিস্টেমের বিভাজন এবং বিলুপ্তি এবং নাগরিক প্রশাসনের অন্তর্ধান ব্যক্তিগত জমির বিস্তারের সাথে মিলে যায়। তবে এস্টেট সিস্টেমের বাহ্যিক কাঠামো (শোয়েন) এবং পাবলিক ল্যান্ডস সিস্টেম (কোকুগারিও), যদিও বিষয়বস্তু বিহীন, তবুও রয়ে গেছে (কিয়ারস্টেড ১৯৮৫: ৩১১-১৪)। বিভাজনের পরিপ্রেক্ষিতে, এটি ছিল শুগো করদের মধ্যস্থতাকারী সম্পর্ক এবং প্রাদেশিক গভর্নর হিসাবে শুগোর ভূমিকা। এটি কিছুটা হলেও ভিন্ন শক্তিকে সংহত করতে সহায়তা করেছিল।
যোদ্ধাদের হাতে যে অবক্ষয়ের শিকার হয়েছিল তার পরিপ্রেক্ষিতে এস্টেট ব্যবস্থা কীভাবে আদৌ বেঁচে ছিল তা আশ্চর্যের বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। উপরে বর্ণিত ক্ষয়িষ্ণু আকারে টিকে থাকার দুটি কারণ ছিল: এক, মুরোমাচি শাসনের অস্তিত্ব ছিল যা যোদ্ধা আক্রমণের মুখে ধারাবাহিকভাবে এস্টেট ব্যবস্থাকে সমর্থন করেছিল (নাগাহারা ১৯৮২: ১৬)। দ্বিতীয় বিভাগে বর্ণিত হিসাবে, আশিকাগা তাকাউজি নিশ্চিত করার চেষ্টা করেছিলেন যে অর্ধেক করের পরিমাপ দ্বারা যোদ্ধাদের উপর নির্ধারিত সীমা অতিক্রম করা হয়নি। তবে তিনি শুগো চুক্তির মতো ব্যবস্থাগুলো এড়াতে ব্যর্থ হয়েছিলেন যা সত্যই তার সম্পত্তি এবং এর আয়ের আভিজাত্যকে অস্বীকার করেছিল। অর্ধ করের পরিমাপ নিজেই সামুরাইয়ের হাতে সম্পত্তির সরাসরি দখল থেকে আভিজাত্যকে রক্ষা করেনি, এমনকি যদি পরবর্তীকালে অর্ধ কর আইন পূরণের জন্য একটি অংশ হস্তান্তর করার প্রয়োজন হয়। শেষ পর্যন্ত, মুরোমাচি প্রশাসনই নিশ্চিত করেছিল যে সামুরাইরা তাদের আয়ের অংশ অভিজাতদের প্রদান করে।
এস্টেট ব্যবস্থার টিকে থাকার পেছনে অন্য কারণটি অভিজাত শ্রেণীর বৈধতার সাথে সংযুক্ত ছিল। এস্টেটে বসবাসকারী কৃষকদের মধ্যে যোদ্ধাদের উত্থান জনপ্রিয় ছিল না। অভিজাতদের আরও কোমল হাত ছিল সেই হাতটিও লোকেরা শ্রদ্ধা করতে এসেছিল। জনগণের মধ্যে সরাসরি অবাধ্যতা ও বিদ্রোহ রোধ করা শুগো প্রভু এবং কোকুজিন উভয়ই এস্টেট কাঠামোর বাহ্যিক রূপকে সম্মান জানাতে আসার একটি কারণ ছিল। কৃষকদের চোখে তাদের শাসনকে বৈধ করার জন্য, যোদ্ধারা এস্টেট কাঠামোর কাঠামোর মধ্যে কাজ করেছিল, যদিও এই কাঠামোটি পুরোপুরি পরিবর্তিত হয়েছিল (নাগাহারা ১৯৮২: ১৬-৭)। একটি মামলা তৈরি করা যেতে পারে যে ইয়ামাশিরো প্রদেশের বাইরে এস্টেট ব্যবস্থা এমন পরিমাণে ক্ষয়প্রাপ্ত হয়েছিল, প্রদেশগুলোতে অভিজাতদের কোনও প্রভাব অবশিষ্ট ছিল না।
== আশিকাগা শক্তি একীকরণ: ১৩৬০-১৩৭০ ==
১৩৫৮ সালে তাকাউজির মৃত্যুর পর শোগুনতন্ত্র তার পুত্রের হাতে চলে যায় যোশিয়াকিরা। তাঁর নেতৃত্বে, এবং কানরেই হোসোকাওয়া ইয়োরিয়ুকির নেতৃত্বে, শাসনব্যবস্থা ১৩৬০ এবং ৭০ এর দশকে শুগো প্রভুদের সংহত করতে সফল হয়েছিল: আশিকাগার শুগো শাখা পরিবারগুলো সরকারী আমলাতন্ত্রের মধ্যে নিযুক্ত ছিল। আমি নিম্নলিখিত পয়েন্টগুলো কভার করব: ১) কানরেই কাউন্সিল সিস্টেমের উত্থান, এবং মধ্যস্থতাকারী যন্ত্র হিসাবে বোর্ড অফ রিটেইনার্স যা শুগো প্রভুদের শাসনের সাথে আরও দৃঢ়ভাবে আবদ্ধ করেছিল; ২) শোগুনাল আধিপত্যের আকারে একটি জবরদস্তিমূলক যন্ত্রের উত্থান যা ভ্রান্ত শুগো প্রভুদের শৃঙ্খলাবদ্ধ করতে ব্যবহৃত হয়েছিল এবং দক্ষিণ দরবারের বাহিনীর চূড়ান্ত পরাজয়; ৩) দরবারের র্যাংকিং সিস্টেমের ব্যবহার একটি মধ্যস্থতাকারী যন্ত্র হিসাবে যা শাসনকে রাজকীয় দরবারের সাথে আবদ্ধ করেছিল এবং এর সাথে সম্পর্কিত ১৩৬৮ সালের হানজেই অর্ধ-কর ডিক্রি এবং এর প্রভাব। ৪) কিউশু ও কানটো অঞ্চলে মুরোমাচি কর্তৃপক্ষের সীমাবদ্ধতা।
শাসনব্যবস্থাকে পুনর্গঠন করে কান্নো ঘটনার ক্ষত নিরাময়ের জন্য শোগুন যোশিয়াকিরার উপর ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। ১৩৬২ সালে তিনি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেছিলেন যা শুগো প্রভুদের শাসনের সাথে সংযুক্ত করেছিল: কানরেই কাউন্সিল সিস্টেম। এই ব্যবস্থাটি দুটি উপাদান নিয়ে গঠিত হয়েছিল, কানরেই অফিস এবং সিনিয়র করদ রাজ্য কাউন্সিল (জুশিন কাইগি) যার উপর কানরেই সভাপতিত্ব করেছিলেন। কানরেই কাউন্সিল ব্যবস্থায় সবচেয়ে শক্তিশালী শুগো পরিবারকে সরাসরি মধ্য ও পশ্চিম জাপান শাসনে অংশগ্রহণকারী হিসাবে জড়িত করা হয়েছিল। শোগুনের পাশাপাশি, কানরেই কাউন্সিল মুরোমাচি শাসনের হৃদয় গঠনের জন্য এমন পরিমাণে আবির্ভূত হয়েছিল, ইতিহাসবিদরা এই শাসনকে বাকুফু-শুগো সিস্টেম হিসাবে চিহ্নিত করতে এসেছেন (তনুমা ১৯৭৬: ১২; তানুমা ১৯৭৬: ১২)। হ্যারিংটন ১৯৮৫: ৬৭)।
=== কানরেই কাউন্সিল এবং প্রতিষ্ঠানের পুনর্গঠন ===
কানরেই কাউন্সিল ব্যবস্থা মধ্যস্থতাকারী ছিল। কারণ এটি আমলাতান্ত্রিক শাসনের সামরিক দিককে একত্রিত করেছিল। কান্নো ঘটনার সাথে উদ্ভূত দ্বন্দ্বটি তাকাউজি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত সামরিক করদ রাজ্য প্রতিষ্ঠান এবং তাদায়োশি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত আমলাতান্ত্রিক-বিচারিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে বিচ্ছেদ এবং সংঘর্ষের সাথে সম্পর্কিত। কানরেই কাউন্সিল ব্যবস্থার উত্থানের সাথে সাথে প্রশাসনের সামরিক পক্ষের প্রতিনিধিত্বকারী শুগো প্রভুরা নীতি সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় হিসাবে আমলাতন্ত্রের সাথে দৃঢ়ভাবে আবদ্ধ ছিলেন।
কানরেই অফিস নিজেই শোগুনের সাথে শুগো প্রভুদের স্বার্থকে একত্রিত করে মধ্যস্থতার একটি ভাল উদাহরণ। কানরেইয়ের কাজ ছিল সিনিয়র করদ রাজ্য কাউন্সিল (জুশিন কাইগি) এবং শোগুনের মধ্যে মুখপাত্র হিসাবে কাজ করা, দুজনের মধ্যে মধ্যস্থতা করা (কাওয়াই ১৯৭৭: ৭০)। কানরেইয়ের দৈনন্দিন ভিত্তিতে শাসনের আমলাতান্ত্রিক উপাদানগুলো দেখার, পরামর্শ করা এবং কাউন্সিল এবং আমলাতন্ত্রের কাছে শোগুনাল আদেশগুলো প্রেরণ করাও দায়িত্ব ছিল। কান্রেই ধারাবাহিকভাবে চার প্রজন্মের মধ্যে তাকাউজির সাথে সম্পর্কিত তিনটি শুগো পরিবারের বংশগত গোষ্ঠী থেকে নির্বাচিত হয়েছিল (পাপিনোট ১৯৭২: ২৭): হোসোকাওয়া, হাতাকিয়ামা এবং শিবা। তিনটি পরিবার পালাক্রমে পদটি পূরণ করেছিল। তারা শাসকদের সর্বোচ্চ পদমর্যাদার শুগো পরিবার ছিল এবং কানরেইয়ের পদটি এর সমর্থনে তাদের স্বার্থকে বেঁধে রাখতে সহায়তা করেছিল।
কানরেই কাউন্সিল ব্যবস্থার অন্য উপাদানটি ছিল সিনিয়র করদ রাজ্য কাউন্সিল (জুশিন কাইগি)। কানরেই কাউন্সিলের সভাগুলোর সভাপতিত্ব করেছিলেন, কাউন্সিলের সিদ্ধান্তগুলো শোগুনকে রিলে করেছিলেন এবং শোগুন থেকে কাউন্সিলে আদেশ প্রেরণ করেছিলেন। এই ব্যবস্থায়, কাউন্সিল এবং শোগুনের মধ্যে পরামর্শের মাধ্যমে শাসন নীতি প্রণয়ন করা হয়েছিল, যদিও চূড়ান্ত সিদ্ধান্তগুলো পরবর্তীকালে নেওয়া হয়েছিল (কাওয়াই ১৯৭৭: ৭০-৭১; কাওয়াই ১৯৭৭: ৭০-৭১)। সাতো ১৯৭৭: ৪৮)। শুরুতে, কাউন্সিলটি তিনটি শুগো পরিবারের প্রধানদের সমন্বয়ে গঠিত হয়েছিল যাদের কাছ থেকে কানরেই নিয়মিত নির্বাচিত হয়েছিল এবং শক্তিশালী শুগো পরিবারের আরও চারটি প্রধান: ইয়ামানা, ইশিকি, আকামাতসু এবং কিয়োগোকু (ভার্লি ১৯৬৭: ২৭-৯)। শেষোক্ত দুটি পরিবার আশিকাগা পরিবারের সাথে সম্পর্কিত ছিল না। পরবর্তী কয়েক দশক ধরে ওচি, সাসাকি এবং টোকি পরিবারগুলোর নিয়োগের সাথে সম্পর্কহীন শুগো পরিবারগুলোকে কাউন্সিলে অন্তর্ভুক্ত করার এই প্রবণতা অব্যাহত ছিল। এই প্রবণতাটি ইঙ্গিত দেয় যে শক্তিশালী শুগো পরিবারগুলো, আত্মীয়তা নির্বিশেষে, সিনিয়র করদ রাজ্য কাউন্সিলের মধ্যস্থতাকারী প্রকৃতির মাধ্যমে শাসনের সাথে আবদ্ধ ছিল: শুগো প্রভু এবং শোগুনের মধ্যে দ্বন্দ্ব এবং সম্ভাব্য স্বার্থের দ্বন্দ্বকে শুগো প্রভুদের কাউন্সিলের মধ্যে আলোচনায় তাদের মতামত জানাতে দিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়া হয়েছিল। বোর্ড অফ রিটেইনার্স (সামুরাইডোকোরো) চতুর্দশ শতাব্দীতে ইমাগাওয়া (যিনি একটু পরে কাউন্সিলের সদস্য হয়েছিলেন), হোসোকাওয়া, হাতাকেয়ামা, শিবা এবং টোকির মধ্যে থেকে নির্বাচিত একজন সিনিয়র করদ রাজ্য কাউন্সিল সদস্যেরও নেতৃত্বে ছিলেন। কিয়োতোর রাজধানীতে পুলিশ কার্যাবলী এবং ফৌজদারি বিচার সম্পাদনের উপর বোর্ড অফ রিটেইনারদের দায়িত্ব ছিল (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ৮৮,১০৭)। অফিসধারী স্বয়ংক্রিয়ভাবে জাপানের সবচেয়ে ধনী এবং সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ ইয়ামাশিরো প্রদেশের উপর শুগো হয়ে ওঠে এবং শাসনের সদর দফতর এবং কিয়োতো শহর রক্ষার দায়িত্ব ছিল (ভার্লি ১৯৬৭: ৫৭)। পঞ্চদশ শতাব্দীর শুরুতে, চারটি শুগো পরিবারের মধ্যে থেকে অনুচর বোর্ডের প্রধান বেছে নেওয়া হয়েছিল: ইয়ামানা, আকামাতসু, কিয়োগোকু এবং ইশিকি। রিটেইনার্স বোর্ড কানরেই কাউন্সিল সিস্টেম যা করেছিল তা করেছিল: এটি শুগো প্রভুদের স্বার্থকে শাসনের সাথে সংযুক্ত করেছিল এবং এর ফলে তাদের মধ্যে সম্ভাব্য দ্বন্দ্বের মধ্যস্থতা করেছিল। শাসকগোষ্ঠীর সম্ভাব্য সংঘাতের উৎস শুগো প্রভুরা শাসকগোষ্ঠীর একটি প্রতিষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী হয়ে ওঠায় মধ্যস্থতাকারী ছিল।
সিনিয়র করদ রাজ্য কাউন্সিল এবং রিটেইনার্স বোর্ডে শুগোর অংশগ্রহণ পুনর্নির্মিত শাসনব্যবস্থায় তাদের অংশগ্রহণের আরও দুটি বিশিষ্ট উদাহরণ ছিল। এই অংশগ্রহণের গুরুত্বকে অবমূল্যায়ন করা যায় না: এই মধ্যস্থতাকারী যন্ত্রগুলো ব্যবহারের মাধ্যমেই আশিকাগা শোগুনরা তাদের নির্দেশনায় রাষ্ট্রকে কেন্দ্রীভূত করতে সক্ষম হয়েছিল। যেমনটি আমরা বারবার দেখব, মুরোমাচি সমাজের সমস্ত স্তরে নিয়োগের ব্যবস্থা হিসাবে হেডশিপ বন্ধন (সোরিও) আকারে আত্মীয়তা বড় হয়ে উঠেছে: এখানেও, সর্বোচ্চ অবস্থানের শুগো প্রভুরা বেশিরভাগই আশিকাগার শাখা পরিবার ছিল। যাইহোক, এই আত্মীয়তার বন্ধনগুলো আধা-স্বাধীন শুগো প্রভু এবং শাসকদের মধ্যে মধ্যস্থতার পথে খুব কমই কাজ করেছিল। বরং কানরেই কাউন্সিল ব্যবস্থার মাধ্যমে শাসন পরিচালনায় শুগো প্রভুদের কার্যকর অংশগ্রহণ ছিল যা তাদের স্বার্থকে শাসনের সাথে আগের চেয়ে আরও দৃঢ়ভাবে আবদ্ধ করেছিল।
=== আশিকাগা এবং শুগো জোটের উসে ===
১৩৬২ সালে দেশের দুটি সবচেয়ে শক্তিশালী শুগো ঘর, ওউচি এবং ইয়ামানা, এই শর্তে আশিকাগা শাসনের কাছে আত্মসমর্পণ করেছিল যে শোগুন তাদের নিজ নিজ প্রদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবে না (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ২৫)। পরবর্তীকালে, ইয়ামানা, যারা আশিকাগার সাথে সম্পর্কিত ছিল এবং ওউচি, যারা সম্পর্কিত ছিল না, সরকারী বিষয়ে ক্রমবর্ধমান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে শুরু করে। যাইহোক, কয়েক দশকের মধ্যে, উভয় শুগো ঘর শোগুনের ক্রোধের জন্য যথেষ্ট শক্তিশালী হয়ে ওঠে।
১৩৬৬ সালে প্রথম কানরেই অফিসধারীর পিতা, শিবা টাকাতসুনে, যিনি তার তেরো বছর বয়সী ছেলের উপর আসল ক্ষমতা রেখেছিলেন এবং যিনি শিবা পরিবারের সদস্যদের মূল সরকারী অফিসগুলোতে বসানোর ইঞ্জিনিয়ার করেছিলেন, তার ক্রমবর্ধমান শক্তি এবং অহংকারের কারণে বিশ্বাসঘাতক হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছিল (তিনি কানরেই পদ গ্রহণ করে অবমাননা বোধ করেছিলেন, তাই তার পরিবর্তে তিনি তার ছেলেকে নিয়োগ দিয়েছিলেন)। একটি গুরুত্বপূর্ণ শুগো পরিবারের বিরুদ্ধে শক্তির প্রথম প্রদর্শনে, যোশিয়াকিরা ইয়ামানা, সাসাকি, যোশিমি এবং টোকি শুগো প্রভুদের এচিজেন প্রদেশের শিবা আক্রমণ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। শিবা পরাজিত হয়েছিল এবং এচিজেনে তাদের অঞ্চল পুনরায় বিতরণ করা হয়েছিল (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ৯২)। ১৩৬৭ সালে শিবা পরিবারকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর হোসোকাওয়া ইয়োরিয়ুকিকে কানরেই পদের উত্তরসূরি হিসাবে নামকরণ করা হয়েছিল: শোগুন যোশিয়াকিরার মৃত্যুর পর ইয়োরিয়ুকি তরুণ শোগুন যোশিমিতসুর সংখ্যালঘু থাকাকালীন শাসনকে আরও দৃঢ় ভিত্তির উপর স্থাপন করতে সক্ষম হন। ১৩৬৬ সালে তাদের নিজস্ব সহকর্মীদের একজনকে আক্রমণ করার জন্য শুগো প্রভুদের ব্যবহার, শুগো প্রভুদের তুলনায় শোগুনের ক্রমবর্ধমান কর্তৃত্ব এবং বয়সের সাথে বাড়তে থাকা জবরদস্তির একটি কার্যকর যন্ত্রের উত্থানের দিকে ইঙ্গিত করে। তখন পর্যন্ত, আমরা সত্যিকারের শৃঙ্খলাবদ্ধ ব্যবস্থার কার্যত অস্তিত্বহীনতা দেখেছি যা শোগুন তার শুগো প্রভুদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে পারে। শোগুন এবং শুগো প্রভুদের মধ্যে উদ্ভূত নতুন মধ্যস্থতাকারী যন্ত্রগুলোর সাথে একত্রে, শোগুন-শুগো জোটের মাধ্যমে এক শুগো প্রভুকে অন্যের বিরুদ্ধে দাঁড় করানোর নতুন জবরদস্তিমূলক যন্ত্রটি শোগুনের হাতকে শক্তিশালী করেছিল।
১৩৬২ সালে কিয়োতোর বিরুদ্ধে সর্বশেষ দক্ষিণ দরবারের আক্রমণ আশিকাগাকে রাজধানী থেকে সরে আসতে বাধ্য করেছিল। তবে পূর্ববর্তী অনেক প্রচেষ্টার মতো, সাম্রাজ্যবাদীদের শেষ পর্যন্ত কিছু অর্জন না করেই একটি বড় পাল্টা আক্রমণের মুখে পিছু হটতে হয়েছিল (সানসোম ১৯৬১: ১০৮)। ১৩৫০-এর দশকে সাম্রাজ্যবাদী সেনাবাহিনীর মধ্যে যে উচ্ছ্বাস ছিল তা ম্লান হয়ে গেছে। এই তারিখের পরে প্রতিরোধ বিক্ষিপ্ত এবং সম্পূর্ণ প্রতিরক্ষামূলক হয়ে ওঠে। অবশেষে ১৩৬৯ সালে সম্রাট গো-মুরাকামির মৃত্যুর এক বছর পর কট্টর সাম্রাজ্যবাদী জেনারেল কুসুনোকি মাসানোরি শাসকগোষ্ঠীর কাছে আত্মসমর্পণ করেন। তাঁর আত্মসমর্পণের ফলে কেন্দ্রীয় প্রদেশগুলোর প্রতি সাম্রাজ্যবাদী হুমকির অবসান ঘটে (সানসোম ১৯৬১: ১০৮)।
=== দরবারের কাছে বৈধতা চাওয়া ===
১৩৭০ সালে ইমাগাওয়া সাদায়ো (রিওশুন) দ্বারা নিযুক্ত করা হয়েছিল কানরেই ইয়োরিয়ুকি এবং সিনিয়র করদ রাজ্য কাউন্সিল কিউশুতে দক্ষিণ দরবারের প্রতিরোধের শেষ দুর্গটি নামিয়ে আনতে। বারো বছরের কঠোর অভিযানের পর সাম্রাজ্যবাদী প্রতিরোধ ১৩৮১ সালে কিকুচি পরিবারের পরাজয়ের সাথে ভেঙে পড়ে। ১৩৮৫ সালে শিমাজু উজিহিসার মৃত্যুর সাথে সাথে সর্বশেষ কিউশু প্রাদেশিক ডোমেন শাসনব্যবস্থার প্রতি তার আনুগত্য ঘোষণা করেছিল (সানসোম ১৯৬১: ১১২)। কিউশুর পতনের সাথে সাথে সমগ্র পশ্চিম জাপান আশিকাগা শাসনের শাসন ও প্রভাবের অধীনে আসে। তবে অভিজাতদের উপর আশিকাগা শাসনকে বৈধতা দেওয়ার জন্য একা প্রচারণা অপর্যাপ্ত ছিল। ১৩৬৭ এর পর শোগুন যোশিমিতসুর সংখ্যালঘু সময়ে, কানরেই হোসোকাওয়া ইয়োরিয়ুকি অভিজাতদের চোখে শাসনকে বৈধতা দেওয়ার প্রয়াসে সক্রিয় হয়ে ওঠেন। তিনি বেশ কয়েকটি অত্যন্ত রক্ষণশীল পদক্ষেপের মাধ্যমে এটি করেছিলেন, কিয়োতোর অভিজাতদের মধ্যে প্রতিপত্তি অর্জন করেছিলেন। তিনি তরুণ শোগুনকে এতে অংশ নিয়ে একটি প্রাচীন দরবার র্যাংকিং সিস্টেম ব্যবহার করেছিলেন (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ২৬)। তিনি অতীতের যে কোনও যোদ্ধা নেতার চেয়ে দরবারের সাথে শাসকগোষ্ঠীকে আরও ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত করেছিলেন। এটি করার মাধ্যমে, তিনি শাসনকে রাজদরবারের কাছাকাছি বেঁধে রেখেছিলেন, যার ফলে নানবোকু-চো দ্বন্দ্বে ইন্ধন জুগিয়েছিল এমন মতাদর্শের কলঙ্ক মুছে ফেলা হয়েছিল: আশিকাগা তাকাউজিকে সাম্রাজ্যবাদী শক্তি পুনরুদ্ধারের বিরুদ্ধে লড়াই করা বিশ্বাসঘাতক হিসাবে দেখা হয়েছিল।
জাপানি সমাজের বিভিন্ন শ্রেণির মধ্যে এর জনপ্রিয়তার কারণে দরবার সমাজ এত দীর্ঘ সময় টিকে ছিল। এস্টেট স্তরে, কৃষকরা যোদ্ধাদের চেয়ে অভিজাতদের সাথে অনেক বেশি ঘনিষ্ঠ বোধ করেছিল। অভিজাতদের ক্ষয়িষ্ণু শক্তি সত্ত্বেও, তাদের প্রভাব তাদের প্রকৃত ক্ষমতার বাইরে চলে গিয়েছিল। কারণ তারা ঐতিহ্যের বৈধতা এবং সংস্কৃতির ক্যারিশমা ধারণ করেছিল যা যোদ্ধাদের ছিল না। এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই যে ইয়োরিয়ুকি তরুণ শোগুনকে দরবারের অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিল: এই অংশগ্রহণটি মধ্যস্থতাকারী ছিল, দরবারের র্যাংকিং সিস্টেমের সর্বোচ্চ সামরিক নেতাকে জড়িত করেছিল যা বেশ কয়েক শতাব্দী আগের, এবং এর ভিত্তি হিসাবে যোদ্ধাসহ প্রত্যেকের উপর সাম্রাজ্যবাদী ধারার প্রাধান্য ছিল, যাদের সম্রাটের কাছ থেকে উপাধি পেতে হয়েছিল। এই দরবারের র্যাংকিং রীতিতে অংশ নিয়ে, আশিকাগা শাসন পুরো সমাজকে একটি শক্তিশালী বার্তা পাঠাচ্ছিল: দরবার কর্তৃক প্রদত্ত বৈধতা তখনও বৈধ এবং তখনও গুরুত্বপূর্ণ (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ২০)। এই অংশগ্রহণ যোদ্ধা শাসন এবং দরবারের মধ্যে উত্তেজনা দূর করেছিল এবং যোদ্ধা শ্রেণির মধ্যে দরবারের সংস্কৃতি প্রচারের অনিচ্ছাকৃত প্রভাব ফেলেছিল, স্বাদের একটি সংমিশ্রণ তৈরি করেছিল যা চিরকালের জন্য জাপানি সংস্কৃতির এই সময়টিকে উজ্জ্বল উদ্ভাবনের এক হিসাবে চিহ্নিত করেছে। একদিক থেকে এই অংশগ্রহণ ছিল একটি অপ্রচলিততা যা বাস্তব জগৎ থেকে সরানো বলে মনে হয়েছিল,খানে যোদ্ধারা সরাসরি ক্ষমতা প্রয়োগ করত। তবে বৈধতার প্রশ্নটি অগত্যা ক্ষমতার প্রত্যক্ষ অনুশীলনের সাথে আবদ্ধ নয়। বৈধতা মতাদর্শের সাথে আবদ্ধ, এবং অভিজাত আভিজাত্য শাসনের আদর্শিক ভিত্তি যোদ্ধাদের শাসনের চেয়ে ভাল ভিত্তি ছিল। একা শক্তি প্রয়োগ বৈধতা তৈরি করতে পারে না, এবং দরবারকে ঘিরে যে সাংস্কৃতিক পরিবেশ ছিল তা তখনও সামুরাই তরোয়ালের চেয়ে অনেক বেশি প্ররোচিত, অনেক বেশি মার্জিত ছিল। যোদ্ধারা নিজেরাই আভিজাত্যদের সংস্কৃতির প্রতি আকৃষ্ট হয়েছিল এবং উত্সাহের সাথে পরবর্তীকালের স্বাদগুলো অনুকরণ করেছিল যতক্ষণ না তারা এমন একটি সংশ্লেষণ তৈরি করতে সক্ষম হয়েছিল যা আগে যা ছিল তার বাইরে চলে গিয়েছিল যেমন জেন দ্বারা প্রভাবিত রক গার্ডেনের উত্থান অন্যান্য শিল্প ফর্মগুলোর মধ্যে যা আজ অবধি স্থায়ী প্রভাব ফেলেছে। এবং কেবল এই কারণেই, চতুর্দশ শতাব্দীর শেষ কয়েক দশক ধরে শোগুন এবং রাজদরবারের মধ্যে যে সংযোগ কার্যকর হয়েছিল, তা শোগুনের শক্তির বৈধতা প্রশস্ত করার প্রভাব ফেলেছিল।
দ্য কানরি ইয়োরিয়ুকি ১৩৬৮ সালে শেষ অর্ধ-কর ডিক্রি (হানজেই) জারি করেছিলেন। এই ডিক্রিটি একটি বিস্তৃত এবং সিদ্ধান্তমূলক মধ্যস্থতাকারী যন্ত্র ছিল যা শাসকদের সাথে মহৎ স্বার্থকে বেঁধে রাখার জন্য ব্যবহৃত হয়েছিল: এটি রাজকীয় পরিবারের মালিকানাধীন জমি, প্রধান উপাসনালয়গুলোর নিয়ন্ত্রণাধীন জমি এবং রাজকীয় রিজেন্টদের মালিকানাধীন জমি (ফুজিওয়ারা) নিষিদ্ধ করেছিল। ব্যতিক্রমগুলোর মধ্যে আভিজাত্য জমিগুলোও অন্তর্ভুক্ত ছিল যা পূর্ববর্তী শোগুন (সম্ভবত যোশিয়াকিরা?) দ্বারা সম্পূর্ণ শিরোনাম দেওয়া হয়েছিল এবং সামুরাই স্টুয়ার্ডস (জিটো) দ্বারা পরিচালিত এস্টেটগুলো (উইন্টারস্টিন ১৯৭৪: ২১৯-২০)। এই ডিক্রিটি দেশব্যাপী সমস্ত এস্টেটের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য ছিল এবং এর আসল গুরুত্ব ছিল এস্টেটগুলোতে আরও সামুরাই আক্রমণ রোধ করতে এবং ইতিমধ্যে সংঘটিত সামুরাই আক্রমণের মুখে অভিজাতদের স্বার্থ রক্ষার জন্য ব্যবহৃত শক্তিশালী ভাষা। পূর্ববর্তী অর্ধ-করের ডিক্রিগুলোর বিপরীতে, এটি রক্ষণশীল ছিল এবং এর লক্ষ্য ছিল অভিজাত জমিগুলোকে ন্যায়সঙ্গত করার পরিবর্তে বিভাজন থেকে রক্ষা করা।
১৩৬৮ অর্ধ-কর ডিক্রির সাথে, শাসনটি ১৩৫২ ডিক্রি থেকে অনেক দূরে এসেছিল। তবে ইতিমধ্যে সংঘটিত সামুরাই আক্রমণের বাস্তবতা বিপরীত করা যায়নি। এখানে, মতাদর্শগতভাবে প্রকাশ্যে যা বলা হয়েছিল তা প্রদেশগুলোতে প্রকৃতপক্ষে যা ঘটছিল তা থেকে বিচ্যুত হয়েছিল। যেমনটি আমরা উপরে দেখেছি, ১৩৬৮ ডিক্রি সত্ত্বেও এস্টেটগুলোতে সামুরাই এবং শুগো প্রভুদের আক্রমণ মারাত্মক ছিল। আর পঞ্চদশ শতাব্দীতে ভূমি দখলের এই প্রবণতা আরও প্রকট হতে থাকে। আমাকে অবশ্যই এই সিদ্ধান্তে উপনীত হতে হবে যে ১৩৬৮ ডিক্রিটি যোদ্ধাদের অব্যাহত যোদ্ধা টেকওভারের প্রমাণের কারণে এস্টেট এবং তাদের আয়ের উপর নিয়ন্ত্রণ নেওয়া থেকে বিরত রাখতে সামগ্রিকভাবে অকার্যকর ছিল। এক অর্থে, ১৩৬৮ সালের ডিক্রিটি একটি আদর্শিক দলিল ছিল যা শোগুন এবং রাজকীয় দরবারের মধ্যে প্রতিষ্ঠিত ঘনিষ্ঠ সংযোগগুলো অনুসরণ করে আভিজাত্যদের চোখে আশিকাগা শাসনকে বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। তদুপরি, আশিকাগা শোগুনরা ইচ্ছা থাকলেও এস্টেটগুলোর আয়ের উপর যোদ্ধাদের অব্যাহত আক্রমণ বন্ধ করতে সক্ষম ছিল না। যতই অকার্যকর হোক না কেন, ১৩৬৮ সালের ডিক্রি স্বীকৃত মহৎ স্বার্থ একটি যোদ্ধা শাসন দ্বারা মতাদর্শগতভাবে রক্ষা করা হয়েছিল এবং এই প্রক্রিয়ায় উভয়ের স্বার্থকে একত্রে আবদ্ধ করা হয়েছিল।
অবশেষে, ১৩৬০-এর দশকে আবির্ভূত মুরোমাচি শাসনের প্রত্যক্ষ শাসন ভৌগোলিকভাবে কান্তোতে অবস্থিত পূর্ববর্তী কামাকুরা শাসনের বিপরীতে পশ্চিম ও কেন্দ্রীয় প্রদেশগুলোতে সীমাবদ্ধ ছিল। বাইরে শুগো লর্ডস (তোজামা) আশিকাগার সাথে সম্পর্কিত নয় যেমন টেকেদা, চিবা, ইউকি, সাতাকে, ওয়ামা, উতসুনোমিয়া, শোনি, ওটোমো, আসো এবং শিমাজু পরিবারগুলো, যাদের সকলেই কানটো এবং কিউশু অঞ্চলে বা তার কাছাকাছি কেন্দ্রীভূত ছিল তারা কানরেই কাউন্সিল ব্যবস্থায় অংশ নেয়নি এবং শাসন থেকে আধা-স্বাধীন ছিল (ভার্লি ১৯৬৭: ২৯; ভার্লি ১৯৬৭: ২৯)। হল ১৯৬৬: ১৯৯)। কিয়োতো থেকে সহজে নিয়ন্ত্রিত হয়নি এমন অঞ্চলে তাদের প্রধান অবস্থানের কারণে আশিকাগা দ্বারা তাদের মৌনভাবে স্বীকৃত এবং শুগো উপাধি দেওয়া হয়েছিল (হ্যারিংটন ১৯৮৫: ৬৭)।
=== কিউশু ===
১৩৭০ সালে শুরু হওয়া কিউশু অভিযানের পর কিউশু ডেপুটি (তান্দাই) সেই দ্বীপে মুরোমাচি শাসনের প্রতিনিধি হন। ইমাগাওয়া সাদায়ো (রিওশুন) কার্যকরভাবে দক্ষিণ দরবারের বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযানের বিচার করেছিলেন এবং শিমাজু উজিহিসার বাহিনীর বিরুদ্ধে তার আক্রমণ চালিয়ে যান, প্রক্রিয়াটিতে স্থানীয় কিউশু কোকুজিনের সমর্থন অর্জন করেছিলেন (হ্যারিংটন ১৯৮৫: ৮৫-৬)। সাদায়োর মতো ডেপুটিরা তাদের নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে মুরোমাচির প্রতিনিধি ছিলেন, এমনকি যখন তারা স্থানীয় সামুরাইকে করদের পুরো ক্ষমতা অহংকার করেছিলেন। উদাহরণস্বরূপ, ১৩৭৭ সালে সাদায়ো এবং একষট্টি জন স্থানীয় সামুরাইয়ের সমন্বয়ে একটি সামুরাই জোট (ইক্কি) এর মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। চুক্তিতে শর্ত দেওয়া হয়েছিল, জোটের সদস্যদের মধ্যে সমস্ত বিরোধ কিউশু ডেপুটির কাছে নিয়ে যাওয়া হবে, যখন জোটের সদস্য এবং ডেপুটির মধ্যে বিরোধগুলো কিয়োতোর মুরোমাচি শাসনে নিয়ে যাওয়া হবে (হ্যারিংটন ১৯৮৫: ৮৭)। কিউশু ডেপুটি ছিলেন একজন মধ্যস্থতাকারী ব্যক্তিত্ব যিনি শাসকদের স্বার্থ এবং তার এখতিয়ারাধীন স্থানীয় অঞ্চলের স্বার্থকে একত্রিত করেছিলেন। স্বাধীনতার প্রলোভনের কারণে এটি একটি অনিশ্চিত অবস্থান ছিল। তবে যে কোনও কারণেই হোক না কেন, মুরোমাচি শাসন পুরো জাতির উপর তাদের সরাসরি নিয়ন্ত্রণ প্রসারিত করেনি এবং তাই জবরদস্তিমূলক ও মধ্যস্থতাকারী যন্ত্রের মাধ্যমে এই অঞ্চলের শুগো প্রভু এবং সামুরাইকে প্রভাবিত করার জন্য তাদের প্রতিনিধি হিসাবে কাজ করার জন্য কিউশু ডেপুটির মতো নিয়োগকারীদের উপর নির্ভর করতে এসেছিল।
=== কান্তো ===
চতুর্দশ শতাব্দীর শেষের দিকে, কানটো অঞ্চলটি শক্তিশালী যোদ্ধা পরিবারগুলোর দ্বারা আধিপত্য ছিল। এর মধ্যে উসুগিরা ছিল সবচেয়ে শক্তিশালী। তারা তাদের নিজস্ব স্বার্থ এগিয়ে নেওয়ার জন্য এই অঞ্চলের পরিবারগুলোর মধ্যে ছড়িয়ে পড়া লড়াইয়ের সুযোগ নিতে সক্ষম হয়েছিল। ১৩৬৮ সালে উৎসুনোমিয়া পরিবার মুরোমাচি শাসনের কামাকুরা সদর দফতরের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছিল। কারণ তারা উয়েসুগির কাছে তাদের শুগো পোস্ট হারিয়েছিল। উসুগি পরিবার তাদের এখতিয়ারের অধীনে শুগো পোস্ট সংগ্রহ করে এবং অন্যান্য পরিবারের ব্যয়ে কান্টো অঞ্চলে করদ রাজ্যগুলোর ঘিরে ফেলে তাদের প্রভাব প্রসারিত করতে সক্ষম হয়েছিল (হ্যারিংটন ১৯৮৫: ৮২-৩)। কেউ একটি তত্ত্ব এগিয়ে নিতে পারে যে কান্টো অঞ্চলটি কিয়োতো থেকে আধা-স্বাধীন হয়ে উঠেছে এবং উসুগি সমর্থনের কারণে মুরোমাচি শাসনের কামাকুরা সদর দফতর বিদ্যমান ছিল। উয়েসুগি পরিবার তাদের অনাকাঙ্ক্ষিত অবস্থানের কারণে কান্টো কানরেই পদে তাদের নিয়োগের মাধ্যমে মুরোমাচি সরকার কর্তৃক আইনত স্বীকৃত হয়েছিল।
মুরোমাচি শাসনের কামাকুরা সদর দফতর কিউশু ডেপুটি (তান্দাই) এর মতোই কাজ করেছিল: এটি আঞ্চলিক মধ্যস্থতাকারী অফিসে পরিণত হয়েছিল যার মাধ্যমে শাসনের আদেশ বহির্মুখী কানটো অঞ্চলে প্রেরণ করা হয়েছিল। উপরে দেখা বাস্তবে কান্টো উসুগির মতো শক্তিশালী পরিবার দ্বারা আধিপত্য ছিল। ক্রমবর্ধমানভাবে, কামাকুরা সদর দফতর মুরোমাচি শাসন থেকে স্বাধীন হয়ে ওঠে এবং সমস্ত প্রয়োজনীয় উদ্দেশ্যে আঞ্চলিক বিরোধ, আঞ্চলিক কর আরোপের যত্ন নেয় এবং কিয়োতোর মুরোমাচি সরকারের ন্যূনতম উল্লেখ সহ কান্টোতে শুগো প্রভুদের সাথে সম্পর্ক গড়ে তোলে - যদিও জায়গীর নিশ্চিত করার অধিকার এবং শুগো নিয়োগ অনুমোদনের অধিকার প্রযুক্তিগতভাবে কিয়োতোর হাতে রয়ে গেছে (হ্যারিংটন ১৯৮৫: ৮৩-৫)।
=== আশিকাগা শক্তির কেন্দ্রীকরণ এবং নানবোকু-চো যুদ্ধের সমাপ্তি: ১৩৭৯–১৩৯৯ ===
১৩৬০-এর দশকের গুরুত্বপূর্ণ দশকে একের পর এক প্রতিরোধের ক্ষেত্র মুরোমাচি শাসনের হাতে পড়েছিল: স্পষ্টতই, ওচি এবং ইয়ামানার মতো শক্তিশালী শুগো প্রভুরা নিজেদেরকে আধা-স্বাধীন প্রভু হিসাবে জমা দিয়েছিলেন; সময় যত গড়িয়েছে ততই দক্ষিণ দরবারের প্রতিরোধ আরও নিরর্থক হয়ে উঠেছে। সামরিকভাবে শাসনব্যবস্থা ১৩৬৬৬৬৬৬ সালে শুগো প্রভুদের তাদের নিজস্ব সহকর্মীদের একজনকে আক্রমণ করার আহ্বান জানাতে সক্ষম হয়েছিল, শোগুনাল নিয়ন্ত্রণে শুগোর ক্রমবর্ধমান অধীনতার দিকে ইঙ্গিত করে। কানরেই কাউন্সিল সিস্টেম তৈরি এবং বাকুফু আমলাতন্ত্রে শক্তিশালী শুগো পরিবারগুলোর ক্রমবর্ধমান অংশগ্রহণের সাথে হাত মিলিয়ে রাজকীয় দরবারের সাথে সম্পর্ক শাসনের বৈধ ভিত্তিকে আরও প্রশস্ত করেছিল। এই মূল বিকাশগুলো কেবল শোগুনাল নিয়ন্ত্রণ বাড়ানোর জন্যই নয়, শুগো প্রভু এবং অভিজাতদের স্বার্থকে শাসনের সাথে আরও ঘনিষ্ঠভাবে আবদ্ধ করার জন্য ব্যবহৃত হয়েছিল। [১৮] তবে ভৌগোলিকভাবে, মুরোমাচি শাসনের পরিধি সীমিত ছিল, কানটো এবং কিউশু অঞ্চলের এখতিয়ার আঞ্চলিক প্রতিনিধিদের কাছে অর্পণ করে এবং হনশুর কেন্দ্রীয় ও পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশগুলোর উপর কমবেশি সরাসরি নিয়ন্ত্রণ রেখেছিল।
১৩৭৯ সালে যোশিমিতসুর কর্তৃত্ব গ্রহণের পঞ্চাশ বছর পর মুরোমাচি শাসন দেশের অপ্রতিদ্বন্দ্বী সরকার হিসাবে তার সবচেয়ে শক্তিশালী পর্যায়ে প্রবেশ করেছিল। শোগুনের নিয়ন্ত্রণ বাড়ার সাথে সাথে শোগুন এবং শুগো প্রভুদের মধ্যে সংযোগ আরও শক্ত হয়েছিল। প্রধান যন্ত্র এবং তাদের প্রভাবগুলো যা শোগুনকে শুগো প্রভুদের উপর নিয়ন্ত্রণ প্রয়োগ করতে এবং জড়িত শাসনের বৈধতার ভিত্তিকে প্রশস্ত করতে সক্ষম করেছিল: ১) মুরোমাচি শাসন এবং রাজকীয় দরবারের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের ধারাবাহিকতা; ২) শুগো প্রভুদের লক্ষ্য করে বাধ্যতামূলক আবাসিক নীতি; ৩) শোগুণাল আর্মির (গোবাঁশু) অধিকতর উন্নয়ন; ৪) বেশ কয়েকটি শুগো প্রভুর জোট ব্যবহার করে শোগুনাল আধিপত্যের উত্থান। ৫) শাসকগোষ্ঠী কর্তৃক বাণিজ্যিক ও কৃষি রাজস্ব এবং করের ব্যবহার। এই সমস্ত পরিবর্তনগুলো কেন্দ্রীভূত শক্তির অব্যাহত প্রবণতার উদাহরণ দেয় যা শাসনের শক্তি বৃদ্ধি করেছিল। আশিকাগা এবং সাম্রাজ্যীয় দরবার
অধীনে যোশিমিতসু (সক্রিয় ১৩৭৯–১৪০৮) যিনি ইয়োরিয়ুকিকে বরখাস্ত করার পরে ক্ষমতার লাগাম ধরেছিলেন কানরেই, এই বিশেষ সংযোগের প্রভাবগুলো জাপানি ইতিহাসের অন্যতম উজ্জ্বল সময়কে উত্সাহিত করেছিল, স্থাপত্য ও সাংস্কৃতিক ফর্মগুলোর পরিপক্কতার জন্য বিখ্যাত যা তখন থেকে জাপানি সংস্কৃতির বৈশিষ্ট্যযুক্ত। রাজদরবার এবং এর সংস্কৃতির সাথে তাঁর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক এবং নতুন শিল্পের প্রতি তাঁর পৃষ্ঠপোষকতা সামরিক অভিজাতদের কাছে বিশেষত শুগো প্রভুদের মাধ্যমে এই সংস্কৃতি ছড়িয়ে দিতে সহায়তা করেছিল (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ৩১-৩২; গ্রসবার্গ ১৯৮১: ৩১-৩২)। কাওয়াই ১৯৭৭: ৭২)। শোগুন এবং রাজকীয় দরবারের মধ্যে এই সংযোগ উভয় প্রতিষ্ঠানে অতিরিক্ত মর্যাদা এনেছিল এবং শোগুনকে নাগরিক বৈধতা এবং সংস্কৃতির আভা দিয়েছিল যা পূর্ববর্তী কামাকুরা শাসনের অভাব ছিল।
দরবারের প্রতিষ্ঠানগুলোতে অংশ নিয়ে, শোগুন দরবারের সংস্কৃতির বেশিরভাগ পরিমার্জিত বিনোদনও গ্রহণ করেছিলেন। পূর্ব প্রাতিষ্ঠানিক সংযোগের ফলে সাংস্কৃতিক সাধনা এসেছিল। আদর্শিক ন্যায্যতার সাথে সংস্কৃতির আরও মিল রয়েছে: যেমনটি আমরা আগের বিভাগে দেখেছি, দরবারের সংস্কৃতির বেশিরভাগ অংশ যোদ্ধাদের কাছে অস্বীকার করা বৈধতা উপভোগ করেছিল।
=== বলপ্রয়োগের একচেটিয়া: বাধ্যতামূলক বাসস্থান ===
শোগুন-শুগো সম্পর্কের দিকে অগ্রসর হয়ে, ১৩৮০-এর দশকে কানরেই কাউন্সিল ব্যবস্থাটি যোশিমিতসু দ্বারা শক্তিশালী করা হয়েছিল যখন তিনি পশ্চিম ও মধ্য শুগো প্রভুদের কিয়োতোতে বাসস্থান নিতে রাজি করেছিলেন। এমনকি তিনি ১৩৮৯ সালে ওউচি ইয়োশিহিরোর সাথে দেখা করতে গিয়েছিলেন এবং তার তথাকথিত তীর্থযাত্রার সময় তাকে কিয়োতোতে বাস করতে রাজি করান। এই সার্কিটগুলো তিনি যে প্রদেশগুলোতে ভ্রমণ করেছিলেন সেগুলোর মাধ্যমে তাঁর শক্তি প্রদর্শন করতে ব্যবহৃত হয়েছিল (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ২৯-৩০)। যোশিমিতসু যে বাধ্যতামূলক আবাসিক নীতি চালু করেছিলেন তা ছিল প্রধান জবরদস্তিমূলক নীতি যা কানরেই কাউন্সিল ব্যবস্থাকে সহায়তা করেছিল এবং শোগুনকে শুগো প্রভুদের চারপাশে তার খপ্পর শক্ত করতে সক্ষম করেছিল। রাজধানী শহর ছেড়ে যাওয়ার অনুমতি খুব কমই শুগো প্রভুকে দেওয়া হয়েছিল: এটি কেবল সিনিয়র করদ রাজ্য কাউন্সিলে আলোচনার পরে মঞ্জুর করা হয়েছিল। এমনকি প্রাদেশিক বিদ্রোহ বা দক্ষিণ দরবারের গেরিলা কার্যকলাপের ক্ষেত্রে অনুমতি দেওয়া হলেও, উপযুক্ত জিম্মিদের কিয়োতোতে রেখে দেওয়া হয়েছিল। যদি শুগো প্রভু অনুমতি ছাড়াই চলে যান তবে এটি রাষ্ট্রদ্রোহের সমতুল্য হিসাবে দেখা হত (কাওয়াই ১৯৭৭: ৬৮-৯; তনুমা ১৯৭৬: ১৩)।
কান্তো এবং কিউশু শুগোকে কিয়োতোতে বাধ্যতামূলক বসবাসের এই আদেশ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল। যাইহোক, মুরোমাচি শাসনের কামাকুরা সদর দফতর কান্টো শুগো প্রভুদের ক্ষেত্রে অনুরূপ নীতি প্রবর্তন করেছিল এবং তাদের কামাকুরায় প্রাসাদ প্রতিষ্ঠা করতে বাধ্য করেছিল যেমন পশ্চিম ও কেন্দ্রীয় শুগো প্রভুরা কিয়োতোতে প্রাসাদ তৈরি করেছিল (কাওয়াই ১৯৭৭: ৬৮)। কিয়োতোতে ম্যানশন বিল্ডিং ফ্যাশনেবল হয়ে ওঠে এবং শেষ পর্যন্ত কিউশুর শিমাজুর মতো শুগো প্রভুদের অন্তর্ভুক্ত করে, যিনি কিয়োতোতে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যদিও তার এটি করার প্রয়োজন ছিল না। শুগো প্রভুদের সত্যিই এই বিষয়ে খুব কম পছন্দ ছিল। তারা হয় কিয়োতোতে বাস করত অথবা শাসকগোষ্ঠীর বিশ্বাসঘাতক হিসাবে চিহ্নিত হয়েছিল। কানরেই কাউন্সিল সিস্টেমের মতো প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি, বাধ্যতামূলক আবাসিক নীতির জাতীয় দৃষ্টিকোণ থেকে এবং প্রাদেশিক দৃষ্টিকোণ থেকে উভয়ই অগণনীয় প্রভাব ছিল। প্রারম্ভিকদের জন্য, শুগো প্রভুদের শক্তি এই নীতি দ্বারা মারাত্মকভাবে সীমাবদ্ধ ছিল: তাদের চলাচলের স্বাধীনতা অবরুদ্ধ করা হয়েছিল। দ্বিতীয়ত, পঞ্চদশ শতাব্দীর দ্বিতীয় চতুর্থাংশে সময় অতিবাহিত হওয়ার সাথে সাথে প্রদেশগুলোতে প্রকৃত শক্তি শুগো প্রভুদের কাছ থেকে দূরে সরে যায় এবং ডেপুটি শুগো (শুগো-দাই) এবং প্রদেশগুলোতে বসবাসকারী অন্যান্য স্বাধীন সামুরাই (কোকুজিন) এর উপর বিশ্রাম নেয়। সুতরাং, শুগো প্রভুদের দৃষ্টিকোণ থেকে বাধ্যতামূলক আবাসিক নীতি দীর্ঘমেয়াদী বিপর্যয় হিসাবে প্রমাণিত হয়েছিল (কাওয়াই ১৯৭৭: ৭৩)। ডেপুটি শুগোর নিয়োগের প্রয়োজন ছিল বাধ্যতামূলক আবাসিক নীতি যদি শুগো প্রভুরা প্রদেশগুলোতে তাদের ক্ষমতা বজায় রাখতে চায়। স্বল্পমেয়াদে, শাখা পরিবারের সদস্যদের এবং সামুরাই কোকুজিনকে ডেপুটি শুগো হিসাবে নিয়োগ দেওয়া এবং প্রদেশগুলোতে তাদের নিজস্ব প্রতিনিধি হিসাবে ব্যবহার করা ভাল কাজ করেছিল; কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে, শুগো প্রভুদের হাত থেকে ক্ষমতা তাদের ভাড়া করা লোকদের হাতে চলে যায়।
=== শোগুনাল আর্মি ===
ইয়োশিমিতসু সামরিক শক্তি প্রয়োগ করে শুগো প্রভুদের আনুগত্যে নামিয়ে আনতে দ্বিধা করেননি এই অজুহাতে যে তারা খুব শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। তিনি তাঁর উপর নির্ভরশীল প্রায় তিন হাজার যোদ্ধা নিয়ে পাঁচটি বিভাগ নিয়ে গঠিত একটি নতুন শোগুনাল সেনাবাহিনী (গোবাঁশু) একত্রিত করেছিলেন (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ১০৬-৭)। এই বাহিনীটি একটি শক্তিশালী অ্যারে ছিল, বিশেষত যখন তারা অন্যান্য শুগো প্রভুদের অবদানের দ্বারা বৃদ্ধি পেয়েছিল। শোগুনাল সেনাবাহিনীর গুরুত্ব পরিমাণের বাইরে চলে যায়। তবে এই বাহিনীটি যা প্রতিনিধিত্ব করে তার উপর আরও আঘাত করে: কোকুজিন সামুরাই দ্বারা গঠিত তার নিজস্ব করদ রাজ্যগুলোর সাথে শোগুনকে সরাসরি সংযুক্ত করে একটি পৃথক বাহিনী। শোগুনাল সেনাবাহিনী শুগো বাহিনীর উপর নজরদারি হিসাবে কাজ করেছিল। দ্বিতীয় অধ্যায়ে আমরা দেখেছি, প্রথম আশিকাগা শোগুন, তাকাউজি, সামুরাই স্টুয়ার্ডদের সাথে এস্টেটের জমিতে আবদ্ধ করে তাদের সাথে সম্পর্ক তৈরি করেছিল। প্রারম্ভিক মুরোমাচি সময়কালে, শোগুনের কমান্ডের অধীনে এই পৃথক করদ রাজ্য শ্রেণিবিন্যাস শুগো শক্তির উপর একটি গুরুত্বপূর্ণ চেক ছিল। আমরা দেখব এই পূর্ববর্তী সেনাবাহিনী যোশিমিতসুর শোগুনাল সেনাবাহিনী থেকে কীভাবে আলাদা ছিল।
শোগুনাল সেনাবাহিনীর দুটি উপাদান ছিল: শোগুনাল দেহরক্ষী (শিনইগুন) আশিকাগা শাখা পরিবারের সদস্য, শুগো আত্মীয় এবং শুগো শাখার পরিবারের সদস্য, শাসক কর্মকর্তাদের অন্যান্য পুত্র ও ভাই এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণভাবে, শক্তিশালী কোকুজিন নিয়ে গঠিত। সংখ্যায় (বড়জোর সাড়ে তিনশো পুরুষ), এই দলটি একটি সুসংহত এবং অনুগত সংস্থা ছিল, যে কোনও মূল্যে শোগুনের ব্যক্তিকে রক্ষা করতে প্রস্তুত ছিল (আর্নেসেন ১৯৮৫: ১০২)। এই ছোট্ট ব্যান্ডের চারপাশে শোগুনের বেশ কয়েকটি প্রত্যক্ষ করদ রাজ্য ছিল যা ১৩৩৬ সালে এর উত্সটি সন্ধান করেছিল, যখন শোগুন তাকাউজি অনেক সামুরাইকে বাড়ির করদ রাজ্য হিসাবে ঘিরে ফেলেছিল যারা সম্ভবত রিজার্ভ সেনাবাহিনী হিসাবে ব্যবহৃত হয়েছিল (গে ১৯৮৬: ৯৫-৬); শোগুনাল দেহরক্ষীর সদস্যদের সাথে সংযুক্ত বৃহত্তর সংখ্যক পরোক্ষ করদ রাজ্য সম্ভবত যোশিমিতসুর অধীনে শোগুনাল সেনাবাহিনীর বেশিরভাগ অংশ তৈরি করেছিল। এই শেষ পয়েন্টটি আর্নেসেন দ্বারা ভালভাবে চিত্রিত হয়েছে, যিনি গণনা করেছিলেন যে শোগুনাল দেহরক্ষীতে সরাসরি করদ রাজ্যের সংখ্যা ষোড়শ শতাব্দীর শেষের দিকে হোজো বংশের অধীনে তালিকাভুক্ত প্রত্যক্ষ করদ রাজ্যের সংখ্যা ষাট থেকে সত্তর শতাংশ ছিল (১৯৮৫: ১২৬)। এবং যদি প্রয়াত হোজো ওডাওয়ারা অভিযানে পঞ্চাশ হাজার সৈন্য মাঠে নামাতে সক্ষম হত। তবে সাড়ে তিনশো শোগুনাল দেহরক্ষী সহজেই তাদের নিজস্ব করদ রাজ্যগুলোর একত্রিত করতে পারত যা গ্রসবার্গ দাবি করেছেন যে তিন হাজার সৈন্য নিয়ে এসেছিল যা গ্রসবার্গ দাবি করেছিলেন যে ১৩৯১ এর মেইটোকু রাইজিং (১৯৮১: ১০৭)। শোগুনাল দেহরক্ষীর সৃষ্টি এবং অন্যান্য শোগুনাল করদ রাজ্যগুলোর উপর এই গোষ্ঠীর কেন্দ্রীয় অবস্থানই যোশিমিতসুর শোগুনাল সেনাবাহিনীকে তাকাউজির শোগুনাল করদ রাজ্য থেকে পৃথক করে। নতুন শোগুনাল সেনাবাহিনীর সাথে একটি শক্ত সংগঠন এবং এসপ্রিট ডি কর্পস আবির্ভূত হয়েছিল।
=== শক্তিশালী শুগোকে পরাজিত করতে শুগো জোটের উসকো ===
তবে যুদ্ধের ময়দানে কানরেই শ্রেণির শুগো প্রভুদের সাথে দেখা করতে এবং পরাজিত করার জন্য একা শোগুনাল সেনাবাহিনী পর্যাপ্ত ছিল না। তবে যোশিমিতসু যে ধরণের যুদ্ধ অনুশীলন করেছিলেন তার জন্য পুরোপুরি উপযুক্ত ছিল: একজন শুগো প্রভুকে পরিবারের সদস্যের বিরুদ্ধে এবং অন্যান্য শুগো প্রভুদের বিরুদ্ধে দাঁড় করানো। পূর্ববর্তী শোগুনের অধীনে উত্থিত নতুন শোগুনাল আধিপত্য, যোশিয়াকিরা, যোশিমিতসুর রাজনীতিতে আধিপত্য বিস্তার করতে এসেছিল। শোগুনাল প্রতিপত্তি অনানুষ্ঠানিকভাবে নির্দেশ দিয়েছিল যে কোনও একক শুগো প্রভু শোগুনের ক্রোধের শিকার না হয়ে ক্ষমতার একটি নির্দিষ্ট স্তর অতিক্রম করবেন না। এটি শুগো প্রভুদের নিজেদের স্বার্থেই ছিল যে তাদের নিজস্ব সহকর্মীদের কেউই বাকিদের উপর খুব বেশি শক্তিশালী এবং প্রভাবশালী হয়ে উঠবে না (ভার্লি ১৯৬৭: ৬৩-৬৪)।
এই নীতি অনুসরণ করে ১৩৮৯ সালে যোশিমিতসু মিনো, আইসে এবং ওওয়ারি প্রদেশের শুগো প্রভু টোকি ইয়াসুয়ুকিকে পরবর্তী প্রদেশটি এক আত্মীয়ের কাছে ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। ইয়াসুয়ুকি প্রত্যাখ্যান করেছিলেন এবং যোশিমিতসু ইয়াসুয়ুকির চাচাতো ভাই ইয়োরিমাসুকে তাকে আক্রমণ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। তিন বছর পরে ইয়াসুয়ুকি পরাজিত হন এবং ১৩৯১ সালে মিনো প্রদেশটি টোকি ইয়োরিমাসুকে ছেড়ে দেন (পাপিনোট ১৯৭২: ৬৫৯)। ইয়োশিমিতসুর কাছে যে প্রদেশটি ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল তা মিনো বা ওওয়ারি ছিল কিনা তা বিবেচ্য ছিল না যতক্ষণ না টোকি ইয়াসুয়ুকি কেন্দ্রীয় প্রদেশগুলোতে তার কিছু ক্ষমতা ছিনিয়ে নিয়েছিল।
১৩৯১ সালে মেইতোকু রাইজিং (রান) এর আগে, ইয়ামানা পরিবারের পশ্চিম ও মধ্য জাপানের এগারোটি প্রদেশ ছিল। এটি তাদেরকে দেশের সবচেয়ে শক্তিশালী শুগো পরিবারে পরিণত করেছিল। যোশিমিতসু তাদের আক্রমণ করার জন্য একটি অজুহাত খুঁজছিলেন। যখন ইয়ামানা মিতসুয়ুকি (যিনি ইজুমো, তাম্বা, হোকি এবং ওকি প্রদেশগুলোর উপর শুগো ছিলেন) ইজুমোতে রাজকীয় পরিবারের কিছু সম্পত্তি দখল করেছিলেন, যোশিমিতসু মিতসুয়ুকির বিরুদ্ধে অভিযানের পরিকল্পনা করার জন্য প্রাক্তন-কানরেই হোসোকাওয়া ইয়োরিয়ুকিকে স্মরণ করেছিলেন (পাপিনোট ১৯৭২: ৭৪৪)। ইয়ামানা শুগো প্রভু মিতসুয়ুকি এবং উজিকিও কিয়োতো আক্রমণ করেছিলেন, কিন্তু ওউচি যোশিহিরোর বাহিনীর সাথে কনসার্টে শোগুনাল সেনাবাহিনীর কাছে মারাত্মকভাবে পরাজিত হয়েছিলেন (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ৩০,১০৭; গ্রসবার্গ ১৯৮১: ৩০,১০৭; গ্রসবার্গ ১৯৮১: ৩০,১০৭)। আর্নেসেন ১৯৭৯: ৮২)। শোগুনের বাহিনী গঠিত অন্যান্য শুগো দলগুলোর প্রত্যেকের সংখ্যা তিন শতাধিক ঘোড়সওয়ারের বেশি ছিল না (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ১০৭)। অভিযানের পর ইয়ামানাকে কেবল দুটি প্রদেশ বরাদ্দ করা হয়েছিল, তাজিমা এবং হকি, এবং বিদ্রোহের নেতাদের হত্যা করা হয়েছিল, যুদ্ধে উজিকিও এবং ১৩৯৫ সালে হত্যার মাধ্যমে মিতসুইউকি (পাপিনোট ১৯৭২: ৭৪৪)। ১৩৯৯ সালে এক শুগো প্রভুর বিরুদ্ধে আরেক শুগো লর্ডের এই দাঁড় তুঙ্গে ওঠে। হাস্যকরভাবে, এবার লক্ষ্যবস্তু ছিল ওউচি ইয়োশিহিরো, যিনি ইয়ামানার বিরুদ্ধে প্রচারণায় শাসকদের ভালভাবে সেবা করেছিলেন। যোশিহিরোকে ১৩৯৭ সালে শোনি আক্রমণ করার আদেশ দেওয়া হয়েছিল যা তিনি করেছিলেন, প্রক্রিয়াটিতে তার ভাইকে হারিয়েছিলেন। পরে তিনি যোশিমিতসুর বাইজেন্টাইন দ্বিচারিতা সম্পর্কে শিখেছিলেন: শোনিকেও ওচি আক্রমণ করার আদেশ দেওয়া হয়েছিল। এই দ্বিচারিতায় ক্ষুব্ধ হয়ে এবং শোগুন যখন তাকে কিয়োতোতে ডেকে পাঠায় তখন তার জীবনের ভয়ে তিনি অবাধ্য হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ৩২)। অবাক হওয়ার কিছু নেই যে, শাসকগোষ্ঠী তাকে শত্রু ঘোষণা করেছিল। এ সাকাইয়ের যুদ্ধ, যোশিমিতসু পাঁচটি শুগো প্রভুর বাহিনী, হোসোকাওয়া, আকামাতসু, কিয়োগোকু, শিবা এবং হাতাকিয়ামার বাহিনী সহ শহরে আগুন লাগিয়ে যোশিহিরোর প্রতিরক্ষামূলক কাজগুলোকে অভিভূত করেছিল (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ৩৩; গ্রসবার্গ ১৯৮১: ৩৩)। সানসোম ১৯৬১: ১৪৯)। যোশিমিতসুর নেতৃত্বে মিত্র বাহিনী ওচির ৫,০০০ যোদ্ধার বিপরীতে ৩০,০০০ যোদ্ধা ছিল: যোশিহিরো কেবল যুদ্ধে অভিভূত হয়েছিলেন যেখানে তিনি আত্মহত্যা করেছিলেন (আর্নেসেন ১৯৭৯: ৮২,৮৬)। এই পূর্ববর্তী প্রতিটি উদাহরণ যেমন ব্যাখ্যা করে, শোগুনাল আধিপত্য খুব কার্যকর হয়ে ওঠে। এটি শুগো প্রভুদের সহকর্মীদের আক্রমণ ও ধ্বংস করে বিভক্ত করার জন্য ব্যবহৃত হয়েছিল। শোগুনাল আধিপত্য শোগুনাল সেনাবাহিনীর সাথে তাদের বাহিনীকে একত্রিত করতে শুগো প্রভুদের সহযোগিতা ছাড়া সফল হত না। তবে শোগুনাল সেনাবাহিনী এবং শাসকগোষ্ঠীর অন্যান্য ব্যয় নির্বাহের জন্য অর্থ না থাকলে এই জবরদস্তিমূলক নীতি অকল্পনীয় ছিল।
=== রাজস্ব ===
চতুর্দশ এবং পঞ্চদশ শতাব্দীর শেষের দিকে কিয়োতো অর্থনৈতিক কার্যকলাপের জন্য একটি উজ্জ্বল কেন্দ্র ছিল। শোগুন যোশিমিতসুর অধীনে উদ্ভূত বাধ্যতামূলক আবাসিক নীতির সাথে, শুগো প্রভুরা তাদের করদ রাজ্য এবং চাকরদের সাথে শহরের বিশিষ্ট জনগোষ্ঠীতে যুক্ত হয়েছিল যার মধ্যে অভিজাত, রাজকীয় দরবার এবং মুরোমাচি সরকার অন্তর্ভুক্ত ছিল। এটি বিভিন্ন পণ্য ও পরিষেবাদির জন্য একটি বিশাল বাজারে অনুবাদ করেছিল যা শহরের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে উত্সাহিত করেছিল। রাজধানীতে বসবাসকারী শোগুন এবং শুগো প্রভু উভয়ের জন্যই এই বৃদ্ধি গুরুত্বপূর্ণ ছিল: তারা ধারাবাহিকভাবে মহাজনদের সম্পদ (সাকায়া-দোসো) ব্যবহার করেছিল। শোগুন এমনকি তাদের শহরে কর আদায়কারী হিসাবে নিয়োগ করেছিল (কাওয়াই ১৯৭৭: ৭১; গ্রসবার্গ ১৯৮১: ৩৭,৭৮-৮০)। পূর্ববর্তী কামাকুরা শাসন থেকে মুরোমাচি শাসনকে এত আলাদা করে তুলেছিল তার আয়ের ভিত্তি। এর বেশিরভাগ রাজস্ব তার জমি বেস ছাড়াও বাণিজ্যিক কর থেকে এসেছিল।
প্রশাসন বোর্ড (ম্যান্ডোকোরো) মুরোমাচি শাসনের রাজস্ব সম্পর্কিত বিষয়গুলোর জন্য ক্লিয়ারিং হাউস হিসাবে ব্যবহৃত হত। এটি প্রধান আমলাতান্ত্রিক অঙ্গ ছিল যা করের উদ্দেশ্যে শহরের বিভিন্ন বাণিজ্যিক গোষ্ঠীর সাথে শাসনকে সংযুক্ত করেছিল। ১৩৯৩ সালে শাসন সরাসরি মহাজনদের উপর কর আরোপের অধিকারকে বৈধ করে (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ৭৮,৯৫-৬)। কিয়োতোতে মূল্যায়ন করা বাণিজ্যিক করগুলো নতুন নগর ভিত্তিক মুরোমাচি শাসনের ভিত্তি হয়ে ওঠে এবং সিদ্ধান্তমূলকভাবে শাসনব্যবস্থার প্রকৃতিকে কেবলমাত্র জমিদার সম্পত্তির উপর ভিত্তি করে একটি শাসনব্যবস্থায় পরিবর্তন করে আংশিকভাবে বাণিজ্য ভিত্তিক একটি শাসনব্যবস্থায় পরিণত করে।
ঐতিহ্যবাহী কৃষিভিত্তিক রাজস্ব তিনটি প্রধান উৎস থেকে আসত: শোগুনাল এস্টেট থেকে, শোগুনাল সামন্ত থেকে এবং শুগো প্রভুদের বিরুদ্ধে নির্ধারিত কর থেকে। আশিকাগা শোগুনদের অবতরণ ঘাঁটি তাদের উত্তরসূরিদের তুলনায় নগণ্য ছিল, টোকুগাওয়া; তবে কিয়োতো এবং কান্টো অঞ্চলের মধ্যে প্রায় দুই শতাধিক শোগুনাল এস্টেট (গরিওশো) ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল এবং এই এস্টেটগুলো থেকে উত্তোলিত রাজস্ব উল্লেখযোগ্য ছিল (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ৭০-৩)। তদুপরি, শোগুনাল এস্টেট এবং শোগুনাল সেনাবাহিনীর মধ্যে সংযোগ নির্ধারক ছিল: সেনাবাহিনীতে দায়িত্ব পালনকারী কিছু পুরুষ শোগুনের ব্যক্তিগত সম্পত্তির পরিচালকও ছিলেন (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ১১২)। তদুপরি, অনেক স্থানীয় সামুরাই সরাসরি শাসনকে (কিয়োসাই) ভূমি কর প্রদান করেছিল যা তারা হাউস করদ রাজ্য (গোকেনিন) হিসাবে উপভোগ করেছিল, প্রক্রিয়াটিতে শুগো ট্যাক্স সংগ্রহকারীদের কাছ থেকে টিকা দেওয়া হয়েছিল (গ্রসবার্গ ১৯৮১; গ্রসবার্গ ১৯৮১)। উপরন্তু, শুগো প্রভুদের সরাসরি কর আদায় করা হয়েছিল (শুগো শুসেন) তারা কতগুলো প্রদেশ পরিচালনা করেছিল সে অনুসারে। যখনই কোনও বিল্ডিং তৈরি বা ঠিক করার জন্য ছিল এবং যখন শোগুনের বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য নগদ অর্থের প্রয়োজন হয়েছিল তখন শাসকরা এটি মূল্যায়ন করেছিল (কাওয়াই ১৯৭৭: ৭১; কাওয়াই ১৯৭৭: ৭১)। গ্রসবার্গ ১৯৮১: ৭৪)। কিয়োতো এবং ইয়ামাশিরো প্রদেশের উদীয়মান বাজার অর্থনীতির কারণে মুরোমাচি শাসনের রাজস্বের উত্সগুলো কামাকুরা শাসনের চেয়ে অনেক বেশি পরিমাণে বৈচিত্র্যময় ছিল। এটি মহাজনদের কাছ থেকে বাণিজ্যিক রাজস্ব আদায় হিসাবে অভিনব আকারে এসেছিল (সাকায়া দোসো): মুরোমাচি আমলাতন্ত্রের ক্ষমতা কাঠামো কার্যকরভাবে কিয়োতো শহরটি দখল করার পরে একটি কর মূল্যায়ন করা হয়েছিল।
== দক্ষিণ দরবারের সম্রাট ==
* সম্রাট গো-দাইগো「後醍醐天皇」(১২৮৮–১৩৩৯, রাজত্বকাল ১৩১৮–১৩৩৯)
* সম্রাট গো-মুরাকামি「後村上天皇」(১৩২৮–১৩৬৮, রাজত্বকাল ১৩৩৯–১৩৬৮))
* সম্রাট চোকেই「長慶天皇」((১৩৪৩–১৩৯৪, রাজত্বকাল ১৩৬৮-১৩৮৩)
* সম্রাট গো-কামেয়ামা「後亀山天皇」(১৩৪৭-১৪২৪, রাজত্বকাল ১৩৮৩-১৩৯২)
== উত্তর দরবারের সম্রাট ==
* উত্তর আশিকাগা দাবিদার ১: সম্রাট কোগন「光厳天皇」(১৩১৩–১৩৬৪, রাজত্বকাল ১৩৩১–১৩৩৩)
* উত্তর আশিকাগা দাবিদার ২: সম্রাট কোমিয়ো「光明天皇」(১৩২২–১৩৮০, রাজত্বকাল ১৩৩৬–১৩৪৮)
* উত্তর আশিকাগা দাবিদার ৩: সম্রাট সুকো「崇光天皇」(১৩৩৪–১৩৯৮, রাজত্বকাল ১৩৪৮–১৩৫১)
* ইন্টাররেগনাম, নভেম্বর ২৬, ১৩৫১ থেকে ২৫ সেপ্টেম্বর, ১৩৫২ পর্যন্ত
* উত্তর আশিকাগা দাবিদার ৪: সম্রাট গো-কোগন「後光厳天皇」(১৩৩৮–১৩৭৪, রাজত্বকাল ১৩৫২–১৩৭১)
* উত্তর আশিকাগা দাবিদার ৫: সম্রাট গো-এন'ইউ「後円融天皇」(১৩৫৯–১৩৯৩, রাজত্বকাল ১৩৭১–১৩৮২)
ttdpinqpoxdyvizhubdyr9l1a8rpkuk
84426
84425
2025-06-16T17:18:17Z
NusJaS
8394
/* উত্তর দরবারের সম্রাট */
84426
wikitext
text/x-wiki
নানবোকু-চো যুগ (南北朝時代, নানবোকু-চো জিদাই) ১৩৩৬ সাল থেকে ১৩৯২ সাল পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। এটি মুরোমাচি যুগের একটি অংশ ছিল।
এই সময়ে দুটি সাম্রাজ্যীয় দরবার ছিল। এরমধ্যে কিয়োতোতে আশিকাগা তাকাউজি প্রতিষ্ঠা করেছিল উত্তর সাম্রাজ্যীয় দরবার; এবং সম্রাট গো-দাইগো ইয়োশিনোতে প্রতিষ্ঠা করেছিল ক্ষিণ সাম্রাজ্যীয় দরবার।
মতাদর্শগতভাবে, এই দুই দরবার প্রায় পঞ্চাশ বছর ধরে সংঘর্ষে লিপ্ত ছিল। তবে ১৩৯২ সালে দক্ষিণ দরবার উত্তর দরবারের কাছে আত্মসমর্পণ করে। বাস্তবে উত্তর রাজবংশ ছিল আশিকাগা শোগুনদের নিয়ন্ত্রণাধীন এবং তাদের বাস্তবিক স্বাধীনতা খুবই সীমিত ছিল।
উনবিংশ শতাব্দী থেকে শুরু করে দক্ষিণ দরবারের সম্রাটদের জাপানের বৈধ সম্রাট হিসেবে গণ্য করা হয়। এর পেছনে কিছু কারণ ছিল—দক্ষিণ দরবারের হাতে জাপানি সম্রাজ্ঞী রাজমুকুট ও প্রতীকগুলোর নিয়ন্ত্রণ, এবং কিতাবাতাকে চিকাফুসার লেখা ''জিন্নো শোতোকি'' ছিল। এটি তাদের পরাজয়ের পরেও দক্ষিণ দরবারের বৈধতাকে সমর্থন করেছিল।
এই সময়কালের ঘটনাগুলোর প্রভাব এখনও আধুনিক জাপানের প্রচলিত দৃষ্টিভঙ্গিতে সম্রাট ব্যবস্থা (তেননো সেইকা) প্রভাবশালী হতে থাকে। রাষ্ট্রীয় শিন্তো ধর্মের প্রভাবে ১৯১১ সালের ৩ মার্চ জারিকৃত এক সাম্রাজ্যীয় ডিক্রিতে এই সময়ের বৈধ রাজাদের দক্ষিণ দরবারের সদস্য বলেই ঘোষণা করা হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর, কুমাজাওয়া হিরোমিচি থেকে শুরু করে একদল দাবিদার নিজেদের দক্ষিণ দরবার থেকে বংশোদ্ভূত দাবি করে এবং উত্তর দরবার থেকে আসা রাজবংশের আধুনিক সাম্রাজ্যীয় ধারার বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে।
১৩৩৩ সালে কামাকুরা শোগুনাতের পতন এবং ১৩৩৬ সালে কেম্মু পুনর্গঠনের ব্যর্থতা নতুন শাসনব্যবস্থার বৈধতা নিয়ে সংকট তৈরি করে। পাশাপাশি, অভিজাত এবং যোদ্ধাদের আয়ের ভিত্তি জমিদারি ব্যবস্থায় (শোয়েন) কাঠামোগত পরিবর্তন সমাজের বিভিন্ন শ্রেণির অবস্থান পরিবর্তনে বড় ভূমিকা রাখে। নানবোকু-চো যুদ্ধের মধ্য দিয়ে যে মুরোমাচি শাসন ব্যবস্থা উদ্ভূত হয়, তা যোদ্ধা শ্রেণির অর্থনৈতিক ভিত্তিকে প্রসারিত করে। তবে অভিজাত মালিকদের ক্ষমতা হ্রাস করে। এটি কামাকুরা বাকুফুর সময় থেকেই শুরু হয়েছিল।
== কামাকুরা বাকুফুর পতন ==
গৃহযুদ্ধের সূচনায় অবদান রাখা প্রধান কারণ ছিল—হোজো পরিবার ও অন্যান্য যোদ্ধা গোষ্ঠীর মধ্যে ক্রমবর্ধমান বিরোধ। এটি ১২৭৪ এবং ১২৮১ সালের মঙ্গোল আক্রমণের পর থেকে বৃদ্ধি পায়। এছাড়াও আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ ছিল কেম্মু পুনর্গঠনের ব্যর্থতা। এটি সম্রাট-অনুগামী ও আশিকাগা গোষ্ঠীর সমর্থকদের মধ্যে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করে।
১৩শ শতাব্দীর শেষদিকে হোজো-নেতৃত্বাধীন কামাকুরা শাসনের প্রতি যোদ্ধাদের মধ্যে অসন্তোষ বৃদ্ধি পায়। এই অসন্তোষের মূল কারণ ছিল, হোজোদের অন্যান্য যোদ্ধা পরিবারগুলোর ওপর ক্রমবর্ধমান আধিপত্য বিস্তার। বিশেষ করে হোজো তোকিমুনের (১২৬৮–১২৮৪) শাসনকালে মঙ্গোল সংকটের সময় এই কেন্দ্রীয়করণ আরও প্রকট হয়। সে সময়ে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটে: হোজো পরিবারে রাজ্য পরিষদে নিয়োগ বৃদ্ধি পায়; হোজোদের ব্যক্তিগত পারিবারিক পরিষদই প্রধান সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী সংস্থা হয়ে ওঠে; এবং হোজোর সরাসরি অধীনস্থ করদ রাজ্যগুলো ক্রমবর্ধমানভাবে শুগো (প্রাদেশিক গভর্নর) হিসেবে উন্নীত করা হয়। এর ফলে তারা কেবলমাত্র নিজেদের পরিবারের সদস্য ও সরাসরি অধীনস্ত করদ রাজ্যগুলোর অন্তর্ভুক্ত করার ফলে বৃহত্তর ভিত্তির সমর্থন হারায়। ১৩৩১ সালে হোজোর বিরুদ্ধে এক জোট গঠিত হলে তার শাসনব্যবস্থার পতন ঘটাতে মাত্র দুই বছর সময় লেগেছিল।
ত্রয়োদশ শতাব্দীর শেষের দিকে যোদ্ধাদের মধ্যে হোজো-নেতৃত্বাধীন কামাকুরা শাসনের প্রতি অসন্তোষ দেখা দেয়। এই বিরক্তি শাসনের মধ্যে অন্যান্য যোদ্ধা পরিবারের উপর হোজোর প্রভাবের কারণে ঘটেছিল। হোজো টোকিমুনের রাজত্বকালে (১২৬৮-১২৮৪ খ্রিষ্টাব্দ) ক্ষমতার এই কেন্দ্রীকরণের পেছনে মঙ্গোল আক্রমণ মূল কারণ ছিল। সঙ্কটের সময়, তিনটি জিনিস ঘটেছিল: হোজো পরিবারের কাউন্সিল অফ স্টেটে নিয়োগ বেড়েছে; হোজো প্রাইভেট ফ্যামিলি কাউন্সিল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী সংস্থা হয়ে ওঠে। হোজোর সরাসরি শুগো পোস্টে উন্নীত হয়েছিল। তারা মূলত সমর্থনের বিস্তৃত ভিত্তির ব্যয়ে কেবল হোজো পরিবারের সদস্য এবং সরাসরি অন্তর্ভুক্ত করে তাদের নির্বাচনী এলাকাগুলোকে সংকীর্ণ করেছিল। ১৩৩১ সালে যখন হোজোর বিরুদ্ধে একটি জোট গঠিত হয়,
তখন কৃষিভিত্তিক সমাজে সম্পদের মূল উৎস ছিল জমি, এবং মধ্যযুগীয় জাপানেও এর ব্যতিক্রম ছিল না। প্রকৃতপক্ষে, যোদ্ধা শ্রেণির মধ্যে বেশিরভাগ অসন্তোষের মূল কারণ ছিল জমি। মিনামোতো গোষ্ঠীর উত্থানের পর থেকে যুদ্ধজয়ের পুরস্কার হিসেবে ভূমি দান ছিল যোদ্ধাদের জন্য একটি স্বীকৃত প্রথা। কিন্তু মঙ্গোল আক্রমণ ছিল ব্যতিক্রম, কারণ এটি বিদেশী শত্রুর বিরুদ্ধে দেশরক্ষার যুদ্ধ ছিল, অন্য কোনও যোদ্ধা গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে নয়। ফলে বিদেশী শত্রুর পরাজয়ের পরে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার হিসেবে তুলে দেওয়ার মতো কোনও জমি ছিল না। এই পরিস্থিতি বিশেষভাবে কঠিন ছিল সেই যোদ্ধাদের জন্য, যারা বীরত্বের সাথে যুদ্ধ করেছিল এবং জমির জন্য হোজো শাসকদের কাছে আবেদন করেছিল। চতুর্দশ শতাব্দীর শুরুতেই এই অসন্তোষ নতুন যে কোনও শাসন ব্যবস্থার ওপর প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি করেছিল। এই শ্রেণিকে সন্তুষ্ট না করতে পারলে নতুন শাসনের স্থায়িত্ব ছিল অনিশ্চিত।
নানবোকু-চো যুদ্ধ ছিল একটি মতাদর্শগত লড়াই—একদিকে ছিল যারা সম্রাটের পুনঃস্থাপন চেয়েছিল, অন্যদিকে ছিল যারা কামাকুরা শাসনের আদলে একটি নতুন যোদ্ধা শাসন প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিল। যেন জাপানের ইতিহাসের পূর্ববর্তী হেইয়ান ও কামাকুরা যুগের মধ্যে মতাদর্শগত সংঘর্ষ ঘটছিল। কিতাবাতাকে চিকাফুসার মতো অভিজাত যোদ্ধারা বুঝতে পারতেন যে পুনর্গঠনে যোদ্ধাদের অংশগ্রহণ প্রয়োজন, তবে মতাদর্শগত স্তরে তাকাউজির সঙ্গে তার তীব্র মতভেদ ছিল, যা ভবিষ্যতের নেতৃত্বেও প্রভাব ফেলেছিল। যুদ্ধের মধ্যেই তৈরি হয় নতুন মুরোমাচি শাসন, যা কেম্মু পুনর্গঠনের ব্যর্থতার সরাসরি ফলাফল ছিল।
== অনুগত সম্পর্ক ও মুরোমাচি বাকুফুর উত্থান ==
উভয় পক্ষের মধ্যে তীব্র লড়াই প্রায় ত্রিশ বছর ধরে চলে। এর পর নতুন যোদ্ধা শাসনের সমর্থকরা আধিপত্য লাভ করে। আশিকাগা তাকাউজি ক্ষমতা কেন্দ্রীকরণের জন্য তিনটি মূল নীতি অনুসরণ করেন:
১. হানজেই বা অর্ধেক কর নীতি, যা জমিদার জমি ভাগ করে দেয়;
২. সামুরাই অনুগতদের (গোকেনিন) সঙ্গে অনুগত্য সম্পর্ক;
৩. শুগো প্রভুদের বাকুফু গভর্নর ও প্রাদেশিক সামন্ত হিসেবে ব্যবহার (এটি পরে বিস্তারিতভাবে আলোচিত)।
এই দুই কাঠামো—সামুরাই অনুগত্য ও শুগো নিয়ন্ত্রণ ১৩৫০-এর দশকে শাসন প্রতিষ্ঠার পর গড়ে ওঠে এবং শোগুনের ক্ষমতা নির্ধারণে মুখ্য ভূমিকা রাখে। প্রশাসনিক কাঠামোগুলো বোঝা কঠিন, কারণ কান্নো বিশৃঙ্খলার পর প্রাথমিক প্রশাসনে ব্যাপক পরিবর্তন আসে। এগুলোর অধিকাংশই কিয়োতো ও ইয়ামাশিরো প্রদেশেই সীমাবদ্ধ ছিল।
=== কামাকুরা থেকে মুরোমাচি পর্যন্ত জমিদারি (শোয়েন) ব্যবস্থার বিবর্তন ===
হানজেই অর্ধ কর নীতিটি সরাসরি ও তীব্র: এটি এস্টেট জমিতে সামুরাই আক্রমণের বৈধতা স্বীকৃতি দেওয়ার একটি কঠোর নীতি ছিল। কিন্তু একই সঙ্গে এস্টেট বা জমিদারি ব্যবস্থার অস্তিত্ব রক্ষা করার নিশ্চয়তা দিয়েছিল।
এস্টেট সিস্টেম কীভাবে পরিবর্তিত হয়েছিল তা পরীক্ষা করার জন্য আমাদের প্রথমে কামাকুরা আমলের দিকে তাকাতে হবে। সামুরাই স্টুয়ার্ড (জিতো) এবং কামাকুরা শাসনের (১১৮৫-১৩৩৩ খ্রিষ্টাব্দ) মধ্যে করদ সম্পর্ক মধ্যস্থতাকারী ছিল। কারণ তারা সামুরাই স্টুয়ার্ডকে (জিতো) এমন একটি অবস্থানে রেখেছিল যেখানে তিনি একই সাথে কামাকুরা এবং কিয়োতো উভয়ের কাছেই জবাবদিহি করেছিলেন। সামুরাই হিসাবে নির্বাচিত হয়ে তাকে একটি কল্পিত আত্মীয়তার বন্ধনে তার বাড়ির সদস্য হিসাবে শোগুনের সাথে সরাসরি করদ সম্পর্কের মধ্যে রাখা হয়েছিল। স্টুয়ার্ড হিসাবে সামুরাই একজন শোগুনাল হাউসম্যান (গোকেনিন) এবং বিশ্বস্ত করদ রাজা হয়েছিলেন। তিনি এমন একটি এস্টেটের পরিচালনার ভার পেয়েছিলেন, যা আইনত কিয়োতোতে একজন আভিজাত্যের মালিকানাধীন ছিল (ভার্লি ১৯৬৭: ২২-৫)। এখানেই কামাকুরা করদ সম্পর্কের মধ্যস্থতাকারী প্রকৃতি রয়েছে। কামাকুরায় যোদ্ধা শাসনের সামন্ত হিসাবে তিনি সামরিক পরিষেবা এবং বকেয়া আকারে শোগুনের কাছে জবাবদিহি করেছিলেন। তবে একজন অভিজাতের মালিকানাধীন এস্টেটের পরিচালক হিসাবে তাকে পরবর্তীকালে খাজনা দিতে হয়েছিল। আমরা প্রথমে কামাকুরা করদ রাজ্য হিসাবে সামুরাই স্টুয়ার্ডের প্রকৃতি পরীক্ষা করব এবং তারপরে আশিকাগা তাকাউজির অধীনে উদ্ভূত করদ বন্ধনগুলো পরীক্ষা করব।
কামাকুরা শাসন ব্যবস্থার স্থায়িত্ব শাসকদের প্রভাবশালী যোদ্ধাদের পরিচালনার অধিকার (জিতো শিকি) এবং অভিজাত মালিকের খাজনা ও জমির মালিকানার অধিকারের গ্যারান্টির উপর নির্ভর করেছিল। সামুরাই স্টুয়ার্ডদের সাথে করদ সম্পর্কের মাধ্যমে, নতুন যোদ্ধা শাসনকে পুরানো এস্টেট সিস্টেমে স্থাপন করা হয়েছিল। প্রক্রিয়াটিতে আপস্টার্ট যোদ্ধা এবং অভিজাতদের মধ্যে সুপ্ত থাকা দ্বন্দ্বমূলক প্রবণতাগুলোর সেতুবন্ধন সৃষ্টি করেছিল।
যেসব সামুরাই স্টুয়ার্ডদের শোগুন বা হোজো রিজেন্টদের সাথে সরাসরি করদ সম্পর্ক ছিল, তারা হাউজকিপার (গোকেনিন) নামেও পরিচিত ছিল। কামাকুরা গোকেনিনের ঐতিহ্য একটি মর্যাদাপূর্ণ ঐতিহ্য ছিল এবং মুরোমাচি যুগে যা ঘটেছিল তার নজির স্থাপন করেছিল। ইয়োরিতোমো এবং হোজো রিজেন্টরা কেবল তাদের নিজস্ব গোকেনিনদের নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে উদ্বিগ্ন ছিল। তারা সচেতনভাবে তাদের নিজস্ব করদ রাজ্যগুলোর জমি বিরোধের মামলা শোনার মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল এবং তাদের অনুসারীদের স্টুয়ার্ডশিপ অধিকারকে পুরস্কৃত করেছিল। এটি অন্যান্য গোষ্ঠীর অন্যান্য বিরোধগুলো নাগরিক প্রশাসন দ্বারা যত্ন নেওয়া যেতে দেয়। এই নজিরটি আশিকাগা শোগুনরা অনুসরণ করেছিল।; কারণ তারা মুরোমাচি আমলে শুগো প্রভুদের আক্রমণের বিরুদ্ধে তাদের দেশের করদ রাজ্যগুলোর স্বার্থ রক্ষার চেষ্টা করেছিল।
শুগোকে কেবল প্রদেশগুলোর প্রভু হিসাবে আরও ক্ষমতা দেওয়া হয়নি। তাকাউজি এস্টেট জমি বিভক্ত করার জন্য যে অর্ধ কর নীতি (হানজেই) ব্যবহার করেছিলেন তা সামুরাই যোদ্ধাদের মালিকানাধীন জায়গীরের সংখ্যা বহুগুণ বাড়িয়ে তুলেছিল। তবে তাকাউজি আরও এগিয়ে যেতে পারতেন যদি তিনি তাঁর বিশ্বস্ত জেনারেলদের পরামর্শ অনুসরণ করতেন। কো ভাইয়েরা সম্পত্তি পুরোপুরি সরিয়ে দিতে চেয়েছিলেন। এস্টেট সিস্টেমের পুনর্বিন্যাসে যোদ্ধাদের স্বার্থ প্রাধান্য পেয়েছিল। তবে মহৎ স্বার্থ তখনও সংরক্ষিত ছিল। এস্টেট সিস্টেম সংরক্ষণে সহায়তা করার ক্ষেত্রে, অর্ধেক করের পরিমাপ এমন একটি নীতি ছিল যা তখনও যোদ্ধার অধিকারের সাথে আভিজাত্যের অধিকারকে সংযুক্ত করতে সক্ষম হয়েছিল।
অর্ধ কর নীতি যুদ্ধের সময় সংগৃহীত সামরিক রেশন (হায়রোরিয়োশো) এর জন্য মনোনীত জরুরি কর হিসাবে শুরু হয়েছিল: মিনো, ওমি এবং ওওয়ারি প্রদেশের নির্দিষ্ট উপাসনালয়, সমাধি এবং এস্টেট জমি থেকে অর্ধেক আয় মুরোমাচি শাসনের সেনাবাহিনীকে সমর্থন করার জন্য নেওয়া হবে। ক্রমবর্ধমানভাবে, এটি পুনরায় ব্যাখ্যা করা হয়েছিল এবং তাকাউজি দ্বারা করদ রাজ্যগুলোর প্রয়োগের উদ্দেশ্যে অর্ধেক জমির স্থায়ী অধিগ্রহণ হিসাবে পরিবর্তন করা হয়েছিল। এটি ছিল পূর্ববর্তী অনুশীলন থেকে আমূল প্রস্থান। উপরে উল্লিখিত হিসাবে, কামাকুরা আমলে, বেশিরভাগ জমি, বিশেষত হোনশুর কেন্দ্রীয় ও পশ্চিম প্রদেশগুলোতে, অভিজাতদের মালিকানাধীন ছিল। তবে কামাকুরা হাউস করদ রাজ্যগুলোর দ্বারা স্টুয়ার্ডশিপ (জিতো শিকি) হিসাবে পরিচালিত হয়েছিল। এটি এস্টেট প্রতিষ্ঠানে একত্রে অভিজাতদের স্বার্থ এবং যোদ্ধাদের স্বার্থ উভয়কেই একত্রিত করেছিল। অর্ধ কর ব্যবস্থার আবির্ভাবের সাথে সাথে তাকাউজি সম্পত্তির অর্ধেক জমি মহৎ নিয়ন্ত্রণ থেকে সরিয়ে তার যোদ্ধাদের জায়গীরে দিচ্ছিলেন।
=== স্থানীয় সামুরাই (কোকুজিন) এর উত্থান ===
নানবোকু-চো দ্বন্দ্ব শুরু হলে করদ সম্পর্ক আরও গুরুতর হয়ে ওঠে। সামন্তদের আনুগত্য একটি বড় বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তুলনামূলকভাবে শান্তিপূর্ণ কামাকুরা সময়কালে, সামরিক দক্ষতাগুলো প্রিমিয়ামে রাখা হয়নি। তবে গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পরে এই মানদণ্ডটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে (ভর ১৯৮৯: ১১৩-৪,১১৭)। ১৩৩৬ পরবর্তী পরিবেশের করদ সম্পর্কগুলোতে একটি নতুন মধ্যস্থতাকারী বিবেচনা উদ্ভূত হয়েছিল: আনুগত্যের প্রয়োজন এবং প্রভু এবং করদ রাজ্যের মধ্যে একটি শক্ত বন্ধন। প্রতিদ্বন্দ্বীদের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তার ফলস্বরূপ শোগুন এবং তার করদ রাজ্যগুলোর মধ্যে দৃঢ় সম্পর্ক আবির্ভূত হয়েছিল। করদ সম্পর্ক হয় আশিকাগা দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল বা আশিকাগার প্রতি অনুগত উদীয়মান শুগো প্রভুদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত অন্য যোদ্ধা শ্রেণিবিন্যাসের কাছে সম্ভাব্য যোদ্ধা হারানোর ঝুঁকি ছিল এবং সবচেয়ে খারাপ প্রতিদ্বন্দ্বী সাম্রাজ্যবাদী জেনারেলদের দ্বারা। সুতরাং, সত্যিকার অর্থে, গৃহযুদ্ধের সময়কালে যোদ্ধা নিয়োগের মাধ্যমে সম্ভাব্য দ্বন্দ্ব দূর করতে করদ বন্ধন ব্যবহার করা হয়েছিল।
একই সময়ে সামুরাই এবং শোগুনের মধ্যে করদ বন্ধন শক্ত হয়েছিল, এই সম্পর্কগুলোর বৈধতা কঠোরভাবে পরীক্ষা করা হয়েছিল। এই আপাত বৈপরীত্যটি যৌক্তিকভাবে সামুরাই আনুগত্যের অনেক দাবির অস্তিত্ব দ্বারা ব্যাখ্যা করা হয়েছে যা উপস্থাপিত হয়েছিল: প্রতিদ্বন্দ্বী সাম্রাজ্যবাদী জেনারেল, শুগো প্রভু এবং এমনকি স্থানীয় সামুরাই জোটের প্রতি।
কয়েকটি উদাহরণ শোগুন আশিকাগা তাকাউজি এবং তার নতুন গোকেনিনদের মধ্যে করদ সম্পর্কের উত্থানকে চিত্রিত করবে। ১৩৩৬ সালে তাকাউজি কিউশুতে পশ্চাদপসরণ করার পরে আকি প্রদেশে আশিকাগা স্বার্থ রক্ষার দায়িত্ব পেলে কোবায়াকাওয়া পরিবার অনুগত করদ রাজ্য হয়ে ওঠে (আর্নেসেন ১৯৮৫: ১০৮)। আরেকটি আকি সামুরাই পরিবার মোরি বংশ, ১৩৩৬ সালে তাকাউজির করদ রাজ্য হয়ে ওঠে এবং কান্নো ঘটনার প্রাদুর্ভাব না হওয়া পর্যন্ত কো মোরোয়াসুর অধীনে দায়িত্ব পালন করে। ১৩৫০ এর দশকে মোরি তাকাউজি তাদায়োশি এবং তার দত্তক পুত্র তাদাফুয়ুর শত্রুদের পক্ষে ছিল এবং ১৩৬০ এর দশক পর্যন্ত তারা আবার শোগুনের করদ রাজ্য হিসাবে ফিরে আসেনি (আর্নেসেন ১৯৮৫: ১১৪-৫)। কাওয়াশিমা বংশ এবং কিয়োতোর নিকটবর্তী অন্যান্য যোদ্ধা পরিবারগুলোর সাথে করদ সম্পর্ক ১৩৩৬ সালের গ্রীষ্মে তাকাউজি রাজধানী পুনরায় দখলের অভিযানে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তাকাউজির স্বাক্ষর বহনকারী করদের শর্তাদি সম্পর্কিত একটি নথির কারণে কাওয়াশিমা মামলাটি যথেষ্ট আগ্রহের বিষয়: তারা কাওয়াশিমা এস্টেটের অর্ধেকেরও বেশি স্টুয়ার্ডশিপ অধিকারের (জিতো শিকি) জন্য সামরিক পরিষেবা বিনিময় করবে, বাকি অর্ধেকটি ভাড়া আকারে অভিজাত মালিকের দখলে রেখে দেবে।
=== কান্নো ঘটনা এবং ১৩৫০ এর দশকে দক্ষিণ দরবারের পুনরুত্থান ===
=== ঘটনাবলী ===
তাকাউজি নামমাত্র শোগুন ছিলেন। দশ বছরেরও বেশি সময় ধরে তাদায়োশি তার জায়গায় শাসন করেছিলেন। দুই ভাইয়ের মধ্যে সম্পর্ক অবশ্য "কান্নো ঘটনা" নামে একটি অত্যন্ত গুরুতর পর্বের মাধ্যমে ধ্বংস হয়েছিল। এটি এমন একটি ঘটনা যা কান্নো যুগ (১৩৫০-১৩৫১) থেকে নামকরণ করা হয়েছে। এই সময়েই দুই ভাইয়ের মধ্যে বিভেদের ঘটনাটি ঘটেছিল। এটি পুরো দেশের জন্য খুব গুরুতর পরিণতি বয়ে আনে। তাকাউজি কো নো মোরোনাওকে তার শিটসুজি বা ডেপুটি বানানোর ফলেই দুজনের মধ্যে ঝামেলা শুরু হয়েছিল। তাদায়োশি মোরোনাওকে পছন্দ করতেন না। তাই তাকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার অন্য প্রতিটি প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়ে তাকে হত্যা করার চেষ্টা করেছিলেন। তার এই ষড়যন্ত্র ফাঁস হয়ে যায়। ফলে ১৩৪৯ সালে তাদায়োশি মোরোনাও সরকার ত্যাগ করে মাথা ন্যাড়া হয়ে কেইশিন নামে বৌদ্ধ সন্ন্যাসী হতে বাধ্য হন। ১৩৫০ সালে তিনি বিদ্রোহ করে নিজের ভাইয়ের শত্রুদের সাথে যোগ দেন। সেই শত্রুরা ছিল দক্ষিণ দরবারের সমর্থক। সম্রাট গো-মুরাকামি তাকে তার সমস্ত সৈন্যের জেনারেল নিযুক্ত করেছিলেন। ১৩৫১ সালে তিনি তাকাউজিকে পরাজিত করে কিয়োতো দখল করেকামাকুরায় প্রবেশ করেন। একই বছর তিনি মিকেজে (সেৎসু প্রদেশ) কো ভাইদের বন্দী করে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেন। পরের বছর তার ভাগ্য ঘুরে যায়। তিনি সাত্তায়ামায় তাকাউজির কাছে পরাজিত হন। ভাইদের মধ্যে একটি পুনর্মিলন সংক্ষিপ্ত প্রমাণিত হয়েছিল। তাদায়োশি কামাকুরায় পালিয়ে যান, কিন্তু তাকাউজি সেখানে সেনাবাহিনী নিয়ে তাকে তাড়া করেন। তাইহেইকি অনুসারে ১৩৫২ সালের মার্চ মাসে আপাতদৃষ্টিতে দ্বিতীয় পুনর্মিলনের অল্প সময়ের মধ্যেই তাদায়োশি হঠাৎ বিষক্রিয়ায় মারা যান।
=== পটভূমি ===
মুরোমাচি শাসনকে বিভক্ত করে এমন চরম বিভাজনকারী কান্নো ঘটনা একীকরণকে সাময়িকভাবে আটকে রেখেছিল। যেহেতু এই ঘটনাটি আমলাতান্ত্রিক অন্তর্দ্বন্দ্বের ফলস্বরূপ ঘটেছে, তাই প্রথমে আমলাতান্ত্রিক অঙ্গগুলোর দিকে নজর দেওয়া দরকার, তারপরে দ্বন্দ্বটি কোথায় উত্থিত হয়েছিল তা পরীক্ষা করা দরকার।
প্রাথমিক শাসনের আমলাতান্ত্রিক অঙ্গগুলো আশিকাগা ভাইদের পৃথক এখতিয়ারের অধীনে ছিল। তাকাউজি ও তাদায়োশি একটি দ্বিখণ্ডিত প্রশাসন তৈরি করে। তাকাউজি হাউস করদ রাজ্যগুলোর নেতা ছিলেন এবং এভাবে বোর্ড অফ রিটেইনার্স (সামুরাই ডোকোরো) এবং পুরষ্কার অফিস (ওনশো-কাটা) নিয়ন্ত্রণ করেছিলেন, যখন তাদায়োশি শাসনের বিচারিক কার্যক্রমের উপর তদন্ত বোর্ড নিয়ন্ত্রণকারী আমলাতান্ত্রিক নেতা ছিলেন (সাতো ১৯৭৭: ৪৮; সাতো ১৯৭৭:৪৮)। গ্রসবার্গ ১৯৮১: ২১-২৪)।
রিটেইনার্স বোর্ড হাউস করদ রাজ্যগুলোর প্রতি শৃঙ্খলাবদ্ধ অঙ্গ হিসাবে ব্যবহৃত হয়েছিল: ব্রিগেন্ডেজ এবং অন্যান্য অপরাধের বিচার করা হয়েছিল (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ৮৮,১০৭)। পুরষ্কারের অফিসটি যোগ্য করদ রাজ্যগুলোর দাবি শুনতে এবং বন্দী করার জন্য ব্যবহৃত হয়েছিল। পুরষ্কারের অফিসটি নতুন যোদ্ধাদের তালিকাভুক্ত করতে ব্যবহৃত হয়েছিল যারা শাসনের সম্ভাব্য প্রতিপক্ষ ছিল। প্রধান বিচারিক অঙ্গ, কোডজুটরস বোর্ড, উত্তরাধিকারের সাথে জড়িত সমস্ত জমি বিরোধ মামলা এবং ঝগড়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ৮৮)। সমস্ত বিচারিক কাজগুলো একটি প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর মধ্যে আইনীভাবে দ্বন্দ্ব এবং বিরোধ নিষ্পত্তি করার জন্য ব্যবহৃত হয়। নতুন শাসনের জন্য আমলাদের (বুগিওনিন) পতনের আগে হোজো শাসনের দায়িত্ব পালনকারীদের পদমর্যাদা থেকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ৯০)। তারা মূল্যবান ছিল কারণ তারা পড়তে এবং লিখতে জানত, এমন একটি কাজ যা বেশিরভাগ যোদ্ধাদের নাগালের বাইরে।
১৩৫০ এর দশকে কান্নো ঘটনা এবং এর পরিণতি প্রাথমিক শাসনকে বিভক্ত এবং প্রায় ধ্বংস করে দিয়েছিল (সানসোম ১৯৬১: ৭৮-৯৫)। আপাতদৃষ্টিতে ঘটনাটি তাকাউজির ভাই আশিকাগা তাদায়োশির বিরুদ্ধে কো ভ্রাতৃদ্বয়, মোরোনাও এবং মোরোয়াসুর বিরুদ্ধে তাকাউজির সমর্থিত একটি উপদলীয় লড়াইয়ের মতো দেখায় (উইন্টারস্টিন ১৯৭৪: ২১৫; আর্নেসেন ১৯৭৯: ৫৩-৫৪)। দ্বন্দ্বটি এস্টেট সিস্টেম সম্পর্কে মতামতের পার্থক্য এবং এই ভিন্ন মতামতের পিছনে তাকাউজি ও তাদায়োশি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত বিভিন্ন আমলাতন্ত্রের দিকে ইঙ্গিত করা যেতে পারে। সামগ্রিকভাবে তাকাউজি ছিলেন উদ্ভাবক এবং তাদায়োশি রক্ষণশীলতার ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন, অতীতের নীতিগুলো সংরক্ষণ করতে চেয়েছিলেন। করদ রাজ্য ব্যান্ডের সামরিক নেতা হিসাবে তাঁর ক্ষমতায়, তাকাউজি দুটি জিনিস করেছিলেন যা তাদায়োশির সাথে সাংঘর্ষিক ছিল: তিনি যুদ্ধক্ষেত্রের বীরত্বের পুরষ্কার হিসাবে শুগো পোস্টগুলোতে করদ রাজ্যগুলোর নিয়োগ করেছিলেন এবং তিনি শোয়েন এস্টেটগুলো ভাগ করে দিয়েছিলেন যার অর্ধেক তার করদ রাজ্যগুলোর ফিফ বা স্টুয়ার্ডশিপ হিসাবে দিয়েছিলেন। তাদায়োশি কেম্মু ফর্মুলারি খসড়া তৈরির মাধ্যমে এই নীতিগুলোর কঠোরভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন যা যুদ্ধক্ষেত্রের সেবার পুরষ্কার হিসাবে শুগোর নিয়োগের বিরোধিতা করেছিল। তিনি কোডজুটরস বোর্ডের নেতা হিসাবে তাঁর ক্ষমতায় এস্টেট জমিগুলোর যে কোনও ধরণের সরাসরি বিভাজনের বিরোধিতা করেছিলেন (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ২৩-৪)। তাকাউজি এবং তার ভাই তাদায়োশির নীতিগুলোর মধ্যে একটি স্পষ্ট বিভাজন ছিল।
দু'জন রাষ্ট্রপ্রধান থাকার ফলে দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছিল যাদের নীতিগুলো একে অপরের সাথে সাংঘর্ষিক। এই ঘটনার পরের ঘটনাবলী সাক্ষ্য দেয় যে শাসকগোষ্ঠী কতটা সমর্থন হারাতে শুরু করেছিল। আশিকাগা পরিবারের সদস্যদের মধ্যে গভীর বিভাজন বিরোধীদের শক্তিশালী করেছিল। মুরোমাচি শাসনের উভয় স্তম্ভ, তাকাউজি ও তাদায়োশি তাদের নিজস্ব এজেন্ডা চাপিয়ে দেওয়ার জন্য দক্ষিণ দরবারে টোকেন জমা দিয়েছিলেন: কো ভাইদের ধ্বংস করার ইচ্ছায় তাদায়োশি এবং অন্যদিকে তাদায়োশিকে পরাজিত করার আকাঙ্ক্ষায় তাকাউজি এটি করেন। হাস্যকরভাবে, যদিও দক্ষিণ দরবার শত্রু ছিল, শাসক সদস্যরা একে অপরকে আক্রমণ করার ন্যায্যতা হিসাবে এটি ব্যবহার করেছিল।
=== প্রভাব ===
এই ঘটনার অন্যতম প্রধান প্রভাব ছিল দক্ষিণ দরবারের যুদ্ধের প্রচেষ্টাকে পুনরুজ্জীবিত করা। অনেকাংশে এই নতুন আক্রমণাত্মক মুরোমাচি শাসনের টার্নকোটদের দ্বারা সম্ভব হয়েছিল। কামাকুরায় তাকাউজির বিরুদ্ধে পরিচালিত ১৩৫২ সালের সাম্রাজ্যবাদী আক্রমণ তাদায়োশির প্রাক্তন অনুসারীদের বিপুল সংখ্যক দ্বারা সম্ভব হয়েছিল যারা সাম্রাজ্যবাদী নেতা নিত্তা যোশিমুনের সমর্থক হয়েছিলেন। ১৩৫৩ সালে কিয়োতোর বিরুদ্ধে সাম্রাজ্যবাদী আক্রমণ সম্ভব হয়েছিল শুগো প্রভু ইয়ামানা টোকিউজির দলত্যাগের মাধ্যমে। তাদায়োশির দত্তক পুত্র আশিকাগা তাদাফুয়ু ছিলেন দলত্যাগের অসামান্য উদাহরণ: ১৩৫৩ এবং ১৩৫৪ সালে কিয়োতোর বিরুদ্ধে সাম্রাজ্যবাদী আক্রমণের সময় তিনি দক্ষিণ দরবারের পশ্চিমা সেনাবাহিনীর নেতা হয়েছিলেন।
=== শুগো প্রভুদের উত্থান ===
এই যুগের উত্থান-পতন বুঝতে হলে আমাদের তখন শোগুন-শুগো প্রভু সম্পর্কের উদাহরণের দিকে ফিরে যেতে হবে। নানবোকু-চো যুগের বৈশিষ্ট্যযুক্ত প্রতিযোগিতামূলক আনুগত্য বিভিন্ন স্তরে খেলা হয়েছিল। একবারে আমরা মোরির মতো স্থানীয় সামুরাই পরিবারগুলোর দলত্যাগ দেখতে পাই - ভয়াবহ বিভাজনকারী কান্নো ঘটনার সময় অস্বাভাবিক নয়। উচ্চতর স্তরে, শুগো প্রভুরা চতুর্দশ শতাব্দীর শেষার্ধ পর্যন্ত বিপজ্জনকভাবে স্বাধীন পদ্ধতিতে কাজ চালিয়ে যান।
আশিকাগা শোগুন তাকাউজি পশ্চিম ও মধ্য জাপানের বিভিন্ন প্রদেশে শাখা পরিবারের সদস্যদের শুগো প্রভু হিসাবে নিয়োগ করেছিলেন। শুগো গভর্নর হিসাবে কাজ করেছিলেন এবং শাসন কেন্দ্র এবং পেরিফেরির মধ্যে মধ্যস্থতার দায়িত্ব পালন করেছিলেন। স্থানীয় গভর্নর এবং তাদের নিজস্ব অধিকারে প্রভু হিসাবে, তারা প্রদেশগুলোতে শাসনের কর্তৃত্বের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন। তারা প্রদেশব্যাপী নিয়োগের কারণে সামুরাই হাউসম্যানের চেয়ে অনেক বেশি কর্তৃত্ব অর্জন করেছিল, একক এস্টেটে সীমাবদ্ধ ছিল না। এখানে আমরা মুরোমাচি যুগের প্রথম দিকে আশিকাগা শোগুনের সাথে তাদের সম্পর্কের দিকে নজর দেব।
শুগো নিয়োগের সাফল্য আত্মীয়তার বন্ধনের দিকে নয়, বরং অন্যান্য কারণের মাধ্যমে তারা শাসনের সাথে কতটা ভালভাবে আবদ্ধ ছিল তার উপর নির্ভর করে। কামাকুরা আমল থেকে যোদ্ধা পরিবারগুলো মস্তকপদ অধিকার (সোরিও) ব্যবহার করে চিহ্নিত করা হয়েছিল,খানে শাখা পরিবারগুলোর উপর নেতৃত্ব দেওয়া হয়েছিল মূল পরিবারের নেত্রী. যাইহোক, মস্তকপদ অধিকারগুলো অত্যন্ত অস্থির ছিল কারণ শাখা পরিবারগুলো প্রায়শই তাদের নিজস্ব স্বাধীনতা দাবি করেছিল, বিশেষত নতুন প্রজন্ম আত্মীয়তার বন্ধনকে হ্রাস করার জন্য আবির্ভূত হয়েছিল (মাস ১৯৮৯: ১১৯)।
সেদিনের প্রয়োজনীয়তাগুলো শুগো পদে নিযুক্ত ব্যক্তিদের দ্বারা সামরিক দক্ষতার সফল ব্যবহারের আহ্বান জানিয়েছিল। আশিকাগা শোগুন এবং স্থানীয় সামুরাইয়ের মধ্যে করদ সম্পর্কের মতো, শোগুন এবং শুগো প্রভুদের মধ্যে বন্ধন একই অর্থে মধ্যস্থতাকারী ছিল: প্রতিযোগিতামূলক আনুগত্যের জগতে, আশিকাগা শোগুনরা শুগো পোস্টগুলোতে যোদ্ধাদের নিয়োগ দিয়ে এই পুরুষদের নিজের আরও কাছাকাছি বেঁধে রাখার চেষ্টা করেছিল। সফল জেনারেলরা, যারা একই সাথে শাখা পরিবারের প্রধান ছিলেন যারা তাকাউজির বিদ্রোহের সাথে তাদের ভাগ্যে নিক্ষেপ করেছিলেন, তারাই প্রায়শই এই পদে পুরস্কৃত হন (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ২৩)। তাদের শাসকগোষ্ঠীর সাথে বেঁধে না রাখার মূল্য ছিল তাদের সমর্থন হারানো, এবং শাসন থেকে তাদের স্বাধীনতাকে উত্সাহিত করা।
শুগো পদে নিযুক্ত আশিকাগা শাখা পরিবারগুলোর মধ্যে হোসোকাওয়া, ইয়ামানা, ইমাগাওয়া, হাতাকেয়ামা, নিকি, কিরা, শিবা, ইশিদো এবং ইশিকি পরিবার অন্তর্ভুক্ত ছিল (পাপিনোট ১৯৭২: ২৭)। নির্দিষ্ট প্রদেশগুলোতে, আশিকাগা মূল শুগো পরিবারগুলোকে স্থানচ্যুত করতে ব্যর্থ হয়েছিল: কেন্দ্রীয় প্রদেশগুলোতে সাসাকি, তোগাশি, তাকেদা এবং ওগাসাওয়ারা এবং কিউশুতে শিমাজু, ওটোমো এবং শোনি (আর্নেসেন ১৯৭৯: ৬০)। মধ্য ও পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশগুলোতে প্রায় অর্ধেক নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত। সময় কান্নো ঘটনা, নতুন নিয়োগপ্রাপ্তদের সাথে আশিকাগা হেডশিপ (সোরিও) সম্পর্ক এই শুগোকে শাসনের প্রতি সরাসরি বিদ্রোহ থেকে মোটেও আটকাতে পারেনি। প্রকৃতপক্ষে, শুগো প্রভুদের তুলনায় এই সময়কালে শাসনের জবরদস্তিমূলক প্রতিষ্ঠানগুলোর শোচনীয়ভাবে অভাব ছিল।
শুগো প্রভুরা যা খুশি তা করতে বাধা দিয়েছিল তা হলো নিয়োগের ক্ষীণ যোগসূত্র, বিশেষত নতুন নিয়োগপ্রাপ্তরা যারা তাকাউজির সাথে আবির্ভূত হয়েছিল - শাসনের সাথে তাদের সংযোগ বজায় রাখার জন্য তাদের একটি স্বার্থান্বেষী স্বার্থ ছিল, যতক্ষণ না তারা তখনও প্রদেশগুলোতে তাদের ক্ষমতা তৈরি করতে পারেনি। যে প্রাদেশিক পরিবারগুলো কামাকুরা আমলে ক্ষমতা অর্জন করেছিল, যেমন সুও এবং নাগাতো প্রদেশের ওচি এবং সাতসুমা প্রদেশের শিমাজু, তারা তাদের নিজস্ব অধিকারে প্রভু ছিল এবং এইভাবে, শাসন এবং তাদের শুগো উপাধির উপর কম নির্ভরশীল ছিল।
১৩৭২ এর পর শুগো প্রভুদের মুরোমাচি শাসনের জন্য কর (তানসেন) সংগ্রহের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। এই করগুলো অভিজাত থেকে শুরু করে সামুরাই পর্যন্ত জমির মালিকদের প্রতিটি শ্রেণীর উপর আঘাত করে। মধ্যস্থতাকারী হিসাবে, শুগো প্রতিটি পৃথক জমির মালিকের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় করের পরিমাণ বাড়িয়ে লাভ করেছিল (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ৭৫)। এই তারিখের মধ্যে, তারা গভর্নর হিসাবে অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছিল এবং তাই তাদের একটি নতুন শাসন কেন্দ্রিক কর তদারকির অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।
=== শুগো সিভিল ফাংশন এবং শুগো উইকের ব্যবহার ===
যা ফোকাসে আসে তা হলো শুগো প্রভু দ্বারা সিভিল গভর্নরের অফিসের ধীরে ধীরে কিন্তু অবিচলিত দখল এবং সামন্ততান্ত্রিক বন্ধনকে কার্যকর করার জন্য এই অবস্থানের ব্যবহার। শুগো পূর্ববর্তী গভর্নরদের মতো তার ঐতিহ্যবাহী প্রশাসনিক দক্ষতার মাধ্যমে নয়, বরং নানবোকু-চো যুদ্ধের সময় এস্টেটের জমি দখলকারী সামুরাইয়ের সাথে করদের মধ্যস্থতাকারী সম্পর্কের মাধ্যমে এবং সরকারী জমিতে বসবাসকারী সামুরাইদের সাথে (কোকুগারিও) কার্যকর করতে সক্ষম হয়েছিল। শুগো প্রভুরা উভয়ই গভর্নর ছিলেন, মুরোমাচি শাসন কর্তৃক তাদের দেওয়া কিছু বৈধ দায়িত্ব ছিল এবং সামন্ত প্রভুরা সামন্তদের প্ররোচিত করার চেষ্টা করেছিলেন।
নানবোকু-চো যুদ্ধ অভিজাতদের প্রতি নির্দয় ছিল যাদের জমিগুলো পূর্ববর্তী সামুরাই স্টুয়ার্ডরা সরাসরি নিয়েছিল এবং অবৈধভাবে ব্যক্তিগত হোল্ডিংয়ে (চিগিও) রূপান্তরিত হয়েছিল। এই বৈপ্লবিক বিকাশ পরবর্তীকালে সংঘটিত এস্টেট ব্যবস্থার সম্পূর্ণ তরলকরণের অগ্রদূত ছিল। শুগো প্রভুরাও তাদের উপর সামুরাই চাপিয়ে তাদের নিয়ন্ত্রণাধীন প্রাক্তন এস্টেটগুলো জড়ো করে এই পুরো জমি দখলে অংশ নিয়েছিল (নাগাহারা ১৯৮২: ১২)। হাস্যকরভাবে, যুদ্ধের উচ্চতায় জমিতে সামুরাই দখলদারিত্ব দ্বারা সৃষ্ট এই আইনহীন পরিস্থিতি ক্ষুদ্র সামুরাই থেকে কোকুজিন পর্যন্ত সমস্ত জমিদার স্বার্থের জন্য সুরক্ষা সমস্যা সৃষ্টি করেছিল এবং স্থানীয় সামুরাইদের মধ্যে করদ আকারে শুগো প্রভুদের সাথে মধ্যস্থতাকারী সম্পর্ক অর্জনের জন্য আরও প্রেরণা সরবরাহ করেছিল। শুগোর সাথে নিজেকে বেঁধে রেখে, তারা প্রদেশের এমন এক ব্যক্তির সাথে নিজেকে মিত্রতা করতে সক্ষম হয়েছিল যিনি একরকম স্থানীয় সুরক্ষা সরবরাহ করতে পারেন।
শুগো লর্ড এবং কোকুজিনের মধ্যে করদ সম্পর্ক প্রায়শই এস্টেটগুলোতে শুগো চুক্তি (শুগো-উকে) নামে পরিচিত একটি ত্রিমুখী মধ্যস্থতাকারী টাই হয়: একজন অভিজাত মালিক রাজধানীতে বসবাসকারী মালিককে সরবরাহ করা গ্যারান্টিযুক্ত বছরের শেষের (নেঙ্গু) আয়ের বিনিময়ে শুগোকে তার এস্টেট পরিচালনার দায়িত্ব দিতেন। শুগো প্রভু তখন ম্যানেজার হিসাবে সেই এস্টেটগুলোতে করদ রাজ্য সামুরাই (হিকান) নিযুক্ত করেছিলেন (মিয়াগাওয়া ১৯৭৭: ৯২; মিয়াগাওয়া ১৯৭৭: ৯২)। নাগাহারা ১৯৮২: ১৪)। অনুমিতভাবে, শুগো চুক্তিগুলো শুগো প্রভু, সামুরাই কোকুজিন এবং আভিজাত্যের স্বার্থকে একত্রে বেঁধেছিল। তবে স্বার্থের সমতার ভিত্তিতে ছিল না। তারা সত্যই এস্টেটগুলোতে শুগো দখলের যন্ত্র ছিল। চুক্তির মধ্যস্থতাকারী প্রকৃতি সম্পর্কে কোনও সন্দেহ নেই। কারণ এটি তিনটি গোষ্ঠীর স্বার্থকে সংযুক্ত করেছিল। তবে এটি শুগো প্রভুর পক্ষে সবচেয়ে অনুকূল ছিল যিনি এই যন্ত্রটি স্থানীয় সামুরাই (কোকুজিন) এর সাথে করদের সম্পর্ক প্রসারিত করতে এবং একই সাথে আভিজাত্যের ব্যয়ে তার জমি বেস প্রসারিত করতে ব্যবহার করেছিলেন। শুগো চুক্তি (শুগো-উকে) ১৩৪০ এর দশকে আবির্ভূত হয়েছিল এবং ধীরে ধীরে ব্যাপক হয়ে ওঠে (উইন্টারস্টিন ১৯৭৪: ২১১)। এই চুক্তিটি কীভাবে পরিচালিত হয়েছিল তা দেখে, এটি স্পষ্ট যে এস্টেট সিস্টেম (শোয়েন) যোদ্ধাদের দ্বারা কতটা দখল করা হয়েছিল এবং তার পূর্ববর্তী জীবনের একটি কঙ্কালে পরিণত হয়েছিল। শুগো প্রভুরা সামরিক সেবার বিনিময়ে সামুরাইকে এস্টেটের পরিচালনা দিয়েছিলেন, কিন্তু আভিজাত্যকে এস্টেটের সমস্ত ক্ষমতা ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছিল, তিনি যেখানে থাকতেন সেখানে বছরের শেষের (নেঙ্গু) আয়ের অংশের জন্য অপেক্ষা করতে হ্রাস পেয়েছিলেন। অভিজাত তার নিজের আয়ের অংশের গ্যারান্টি দেওয়ার জন্য কর অধ্যক্ষ (নেঙ্গু দাইকান) নিয়োগ করেছিলেন। তবে তাকে নিয়োগের জন্য অত্যধিক পরিমাণ অর্থ প্রদান করতে হয়েছিল। কোকুজিন এবং শুগো প্রভু দ্বারা ইতিমধ্যে হ্রাস করা অভিজাত আয় আরও হ্রাস পেয়েছিল যখন ট্যাক্স ওভারসিয়ার তার অর্ধেক নিয়েছিল। মহৎ আয়ের এই হ্রাস শুগো এবং সামুরাই উভয়ের পক্ষ থেকে ধীরে ধীরে অর্থ প্রদান না করার ফলাফল ছিল; শেষ ব্যবস্থা হিসাবে, অভিজাতরা যোদ্ধাদের উপর চাপ দেওয়ার উপায় হিসাবে মহাজন (ডিওএসও) এবং আমলাদের (বুগিওনিন) ভাড়া করেছিল। তবে এই প্রতিকারটিও দাগযুক্ত ফলাফল তৈরি করেছিল কারণ ভাড়াটে হাতগুলো যোদ্ধাদের সাথে আলোচনা করতে হয়েছিল (নাগাহারা ১৯৮২: ১৬)।
=== শুগো এবং পাবলিক ল্যান্ডস (কোকুগারিও) ===
সম্প্রতি অবধি একটি বৃহত্তর অনুপস্থিত চিত্র হলো মুরোমাচি আমলে সরকারী জমিগুলোর ভাগ্য (কোকুগারিও) এবং তাদের উপর তাদের দখলদারিত্বে শুগো প্রভুদের ভূমিকা। হেইয়ান আমলে সরকারী জমি (কোকুগারিও) এস্টেটগুলোর ব্যক্তিগত জমি (শোয়েন) থেকে পৃথক ছিল। কারণ পরবর্তীকালে রাষ্ট্রীয় কর থেকে মুক্ত ছিল। বেসরকারী এস্টেটের উত্থানের আগে, একমাত্র ধরণের জমি ছিল পুরানো নাগরিক প্রশাসনের অধীনে রক্ষণাবেক্ষণ করা সরকারী জমি। হেইয়ান আমলে শোয়েন নামে পরিচিত বেসরকারী এস্টেটগুলোর উত্থানের সাথে সাথে সরকারী জমিগুলো কোনওভাবেই অদৃশ্য হয়ে যায়নি: বিশদভাবে, সরকারী জমিগুলো ব্যক্তিগত এস্টেট থেকে খুব কম আলাদা ছিল। দুটিরই মালিক ছিলেন অনুপস্থিত মালিকরা। তারা কেবল প্রশাসনের দিক থেকে পৃথক ছিল: বেসরকারী এস্টেটগুলো সরাসরি অভিজাত কর্মকর্তাদের দ্বারা পরিচালিত হত, অন্যদিকে, সরকারী জমিগুলো প্রাক্তনদের পক্ষে সিভিল গভর্নরদের (কোকুগা বা কোকুশি) দ্বারা পরিচালিত হত (আর্নেসেন ১৯৭৯: ৯৪)। কামাকুরা আমলে, সরকারী জমিগুলো বিভিন্ন জমির মালিকদের ব্যক্তিগত হোল্ডিং (চিগিও) হিসাবে মালিকানাধীন ছিল। এই জমির মালিকদের মধ্যে অভিজাত বাড়ি, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান এবং যোদ্ধা অন্তর্ভুক্ত ছিল। কান্তো এবং উত্তর-পূর্বের পুরো অঞ্চল যোদ্ধাদের দখলে ছিল এস্টেট ম্যানেজার হিসাবে নয়, ব্যক্তিগত হোল্ডিং হিসাবে (নাগাহারা ১৯৮২: ১৫): কান্টো প্রদেশগুলো কামাকুরা শাসনকে ব্যক্তিগত জমি (চিগিওকোকু) হিসাবে দেওয়া হয়েছিল। আশিকাগা শাসন এই জমিগুলো উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছিল এবং ভাগ্যক্রমে তাদের উপরে শুগো প্রভুদের রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল (আর্নেসেন ১৯৭৯: ৯৪)।
সিভিল গভর্নর অফিসের (কোকুশি) অন্যতম প্রধান কাজ ছিল প্রদেশগুলোতে ফৌজদারি বিচারের তদারকি এবং সরকারী জমির মধ্যে ব্যক্তিগত হোল্ডিংগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ (কোকুগারিও)। তবে কামাকুরা শাসনের আবির্ভাবের সাথে তার কার্যকারিতা পরিবর্তন হতে শুরু করে (হল ১৯৬৬: ২০২-০৩)। কামাকুরা কর্তৃক শুগো কনস্টেবল নিয়োগের সাথে সাথে প্রদেশগুলোর মধ্যে সমস্ত ফৌজদারি এখতিয়ার তার হাতে চলে যায়। তবে সিভিল গভর্নর (কোকুশি) সিভিল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (রিটসুরিও) মূল কর্মকর্তা হিসাবে রয়ে গেলেন, যিনি নিশ্চিত করেছিলেন যে ব্যক্তিগত হোল্ডিং থেকে ভাড়া কিয়োতো এবং ইয়ামাশিরো প্রদেশের অনুপস্থিত অভিজাত এবং ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে (জিশা হোনজো) পৌঁছেছে। তাঁর তত্ত্বাবধানে যোদ্ধাদের ব্যক্তিগত হোল্ডিংগুলো অন্তর্ভুক্ত ছিল না, সাধারণত কানটো এবং আরও উত্তরে কেন্দ্রীভূত ছিল।
নানবোকু-চো যুদ্ধের প্রাদুর্ভাবের সাথে সাথে নাগরিক প্রশাসন (ঋতসুরিও) দ্রুত ভেঙে পড়তে শুরু করে এবং শুগো প্রভুরা, যাদের কামাকুরা আমলে প্রাদেশিক শাসনে সামান্য ভূমিকা ছিল, তারা সিভিল গভর্নরের দায়িত্ব দখল করতে আবির্ভূত হয়েছিল। এটি প্রতিটি প্রদেশে তাত্ক্ষণিকভাবে ঘটেনি। তবে শুগো প্রভুরা সরকারী জমিতে সত্যিকারের গভর্নর না হওয়া পর্যন্ত কোনও বাধা ছাড়াই ঘটেছিল (কোকুগারিও)। তারা সরকারী জমির মধ্যে ব্যক্তিগত হোল্ডিংয়ের তদারকি করার সাথে সাথে তারা বিভিন্ন ধরণের জমির মালিকদের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করেছিল: অভিজাত, বিভিন্ন ধরণের সামুরাই (কোকুজিন, জিজামুরাই) এবং ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের সাথে। তারা এই জমিগুলোতে তাদের নিজস্ব অনুসারীদের চাপিয়ে দিয়েছিল এবং সামরিক সেবার বিনিময়ে বিদ্যমান সামুরাইয়ের জমিগুলো পুনরায় নিশ্চিত করেছিল এবং অনুমানযোগ্য ফলাফলের সাথে অভিজাতদের সাথে শুগো চুক্তি প্রতিষ্ঠা করেছিল (নাগাহারা ১৯৮২: ১৫)। এস্টেটগুলোতে স্থানীয় সামুরাই (কোকুজিন) এর সাথে করদ সম্পর্কের পাশাপাশি, সরকারী জমিতে করদ বন্ধন একটি মূল সংস্থান হয়ে ওঠে যা শুগো প্রভুদের শক্তি বাড়িয়ে তোলে।
তদুপরি, ১৩৪৬ সালে মুরোমাচি শাসনের উত্থানের দশ বছর পর শোগুন শুগোকে এস্টেটগুলোতে ফসল চুরির মামলাগুলো বিচার করার এবং সাম্রাজ্যবাদী বাহিনীর কাছ থেকে নেওয়া যোগ্য করদ রাজ্যগুলোর জমির অস্থায়ী নিয়োগ দেওয়ার অধিকার দিয়ে কর্তৃত্বকে বিকেন্দ্রীকরণ করেছিল (আর্নেসেন ১৯৭৯: ৬৫)। এটি তাৎপর্যপূর্ণ ছিল, যতক্ষণ না কামাকুরা এখতিয়ারের ঐতিহ্যবাহী অঞ্চলগুলো মুরোমাচি শাসন দ্বারা "ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল"। পূর্বে, ফসল চুরি বা জমি বরাদ্দের সমস্ত মামলা কঠোরভাবে কামাকুরা প্রশাসনের অধীনে ছিল। এছাড়াও, প্রায় এই সময়ে, সাম্রাজ্যবাদী শক্তি তাদের সবচেয়ে খারাপ পরাজয়ের সম্মুখীন হচ্ছিল, শত্রুদের জমি বাজেয়াপ্ত ও পুনর্নির্ধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দিচ্ছিল। শুগো প্রভুদের এই নতুন এখতিয়ার দেওয়ার মাধ্যমে এটি তাদের নির্ধারিত প্রদেশগুলোর গভর্নর হিসাবে তাদের অবস্থানকে আরও বাড়িয়ে তোলে।
=== বৈধতা এবং ক্ষমতার সীমাবদ্ধতা ===
এই দ্বৈত ক্ষমতায় শুগো প্রভুদের গভর্নর হিসাবে পরিচালিত জমির জন্য প্রদেশগুলোতে অন্যান্য জমি সামুরাইয়ের সাথে প্রতিযোগিতা করতে হয়েছিল। তবে ব্যক্তিগতভাবে মালিকানাধীন ছিল না। অভিজাত মালিকদের মতো, একক শুগো প্রভু বেশ কয়েকটি প্রদেশের বিস্তৃত অঞ্চলে জমির মালিক ছিলেন। তাঁর ক্ষমতা ষোড়শ শতাব্দীর আঞ্চলিক প্রভুদের (দাইমিও) মতো জমির ব্যক্তিগত মালিকানার উপর নির্মিত হয়নি। তবে করদের বন্ধনের মাধ্যমে স্থানীয় সামুরাইয়ের আনুগত্যের উপর নির্মিত হয়েছিল (মিয়াগাওয়া ১৯৭৭: ৯১-৯৩)। ষোড়শ শতাব্দীর আঞ্চলিক প্রভুদের দ্বারা অনেক বেশি জবরদস্তিমূলক সম্ভাবনা প্রয়োগ করা হয়েছিল। কারণ তাদের আশেপাশের জমিগুলোর মালিকানার উপর ভিত্তি করে তাদের করদের বন্ধন ছিল: মালিক হিসাবে তারা উপযুক্ত হিসাবে জমিটি ছেড়ে দিতে পারে, খুব বেশি ঝামেলা ছাড়াই অবাধ্য করদ রাজ্যগুলোর থেকে মুক্তি পেতে পারে। চতুর্দশ শতাব্দীতে, শুগো প্রভুরা অঞ্চলটির প্রদেশব্যাপী মালিকানা দাবি করতে পারেনি: প্রথমত, ব্যক্তিগত প্রাদেশিক মালিকানার ধারণাটি তখনও অনুন্নত ছিল; দ্বিতীয়ত, তারা কখনই প্রচুর পরিমাণে ব্যক্তিগত সম্পত্তি সংগ্রহ করেনি, বরং তাদের সামন্তদের দখল করার জন্য এস্টেট জমি এবং সরকারী জমির ঐতিহ্যবাহী কাঠামো ব্যবহারের উপর নির্ভর করেছিল। এটি চতুর্দশ শতাব্দীর কেন্দ্রীয় রহস্য: এস্টেট সিস্টেমের বিভাজন এবং বিলুপ্তি এবং নাগরিক প্রশাসনের অন্তর্ধান ব্যক্তিগত জমির বিস্তারের সাথে মিলে যায়। তবে এস্টেট সিস্টেমের বাহ্যিক কাঠামো (শোয়েন) এবং পাবলিক ল্যান্ডস সিস্টেম (কোকুগারিও), যদিও বিষয়বস্তু বিহীন, তবুও রয়ে গেছে (কিয়ারস্টেড ১৯৮৫: ৩১১-১৪)। বিভাজনের পরিপ্রেক্ষিতে, এটি ছিল শুগো করদের মধ্যস্থতাকারী সম্পর্ক এবং প্রাদেশিক গভর্নর হিসাবে শুগোর ভূমিকা। এটি কিছুটা হলেও ভিন্ন শক্তিকে সংহত করতে সহায়তা করেছিল।
যোদ্ধাদের হাতে যে অবক্ষয়ের শিকার হয়েছিল তার পরিপ্রেক্ষিতে এস্টেট ব্যবস্থা কীভাবে আদৌ বেঁচে ছিল তা আশ্চর্যের বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। উপরে বর্ণিত ক্ষয়িষ্ণু আকারে টিকে থাকার দুটি কারণ ছিল: এক, মুরোমাচি শাসনের অস্তিত্ব ছিল যা যোদ্ধা আক্রমণের মুখে ধারাবাহিকভাবে এস্টেট ব্যবস্থাকে সমর্থন করেছিল (নাগাহারা ১৯৮২: ১৬)। দ্বিতীয় বিভাগে বর্ণিত হিসাবে, আশিকাগা তাকাউজি নিশ্চিত করার চেষ্টা করেছিলেন যে অর্ধেক করের পরিমাপ দ্বারা যোদ্ধাদের উপর নির্ধারিত সীমা অতিক্রম করা হয়নি। তবে তিনি শুগো চুক্তির মতো ব্যবস্থাগুলো এড়াতে ব্যর্থ হয়েছিলেন যা সত্যই তার সম্পত্তি এবং এর আয়ের আভিজাত্যকে অস্বীকার করেছিল। অর্ধ করের পরিমাপ নিজেই সামুরাইয়ের হাতে সম্পত্তির সরাসরি দখল থেকে আভিজাত্যকে রক্ষা করেনি, এমনকি যদি পরবর্তীকালে অর্ধ কর আইন পূরণের জন্য একটি অংশ হস্তান্তর করার প্রয়োজন হয়। শেষ পর্যন্ত, মুরোমাচি প্রশাসনই নিশ্চিত করেছিল যে সামুরাইরা তাদের আয়ের অংশ অভিজাতদের প্রদান করে।
এস্টেট ব্যবস্থার টিকে থাকার পেছনে অন্য কারণটি অভিজাত শ্রেণীর বৈধতার সাথে সংযুক্ত ছিল। এস্টেটে বসবাসকারী কৃষকদের মধ্যে যোদ্ধাদের উত্থান জনপ্রিয় ছিল না। অভিজাতদের আরও কোমল হাত ছিল সেই হাতটিও লোকেরা শ্রদ্ধা করতে এসেছিল। জনগণের মধ্যে সরাসরি অবাধ্যতা ও বিদ্রোহ রোধ করা শুগো প্রভু এবং কোকুজিন উভয়ই এস্টেট কাঠামোর বাহ্যিক রূপকে সম্মান জানাতে আসার একটি কারণ ছিল। কৃষকদের চোখে তাদের শাসনকে বৈধ করার জন্য, যোদ্ধারা এস্টেট কাঠামোর কাঠামোর মধ্যে কাজ করেছিল, যদিও এই কাঠামোটি পুরোপুরি পরিবর্তিত হয়েছিল (নাগাহারা ১৯৮২: ১৬-৭)। একটি মামলা তৈরি করা যেতে পারে যে ইয়ামাশিরো প্রদেশের বাইরে এস্টেট ব্যবস্থা এমন পরিমাণে ক্ষয়প্রাপ্ত হয়েছিল, প্রদেশগুলোতে অভিজাতদের কোনও প্রভাব অবশিষ্ট ছিল না।
== আশিকাগা শক্তি একীকরণ: ১৩৬০-১৩৭০ ==
১৩৫৮ সালে তাকাউজির মৃত্যুর পর শোগুনতন্ত্র তার পুত্রের হাতে চলে যায় যোশিয়াকিরা। তাঁর নেতৃত্বে, এবং কানরেই হোসোকাওয়া ইয়োরিয়ুকির নেতৃত্বে, শাসনব্যবস্থা ১৩৬০ এবং ৭০ এর দশকে শুগো প্রভুদের সংহত করতে সফল হয়েছিল: আশিকাগার শুগো শাখা পরিবারগুলো সরকারী আমলাতন্ত্রের মধ্যে নিযুক্ত ছিল। আমি নিম্নলিখিত পয়েন্টগুলো কভার করব: ১) কানরেই কাউন্সিল সিস্টেমের উত্থান, এবং মধ্যস্থতাকারী যন্ত্র হিসাবে বোর্ড অফ রিটেইনার্স যা শুগো প্রভুদের শাসনের সাথে আরও দৃঢ়ভাবে আবদ্ধ করেছিল; ২) শোগুনাল আধিপত্যের আকারে একটি জবরদস্তিমূলক যন্ত্রের উত্থান যা ভ্রান্ত শুগো প্রভুদের শৃঙ্খলাবদ্ধ করতে ব্যবহৃত হয়েছিল এবং দক্ষিণ দরবারের বাহিনীর চূড়ান্ত পরাজয়; ৩) দরবারের র্যাংকিং সিস্টেমের ব্যবহার একটি মধ্যস্থতাকারী যন্ত্র হিসাবে যা শাসনকে রাজকীয় দরবারের সাথে আবদ্ধ করেছিল এবং এর সাথে সম্পর্কিত ১৩৬৮ সালের হানজেই অর্ধ-কর ডিক্রি এবং এর প্রভাব। ৪) কিউশু ও কানটো অঞ্চলে মুরোমাচি কর্তৃপক্ষের সীমাবদ্ধতা।
শাসনব্যবস্থাকে পুনর্গঠন করে কান্নো ঘটনার ক্ষত নিরাময়ের জন্য শোগুন যোশিয়াকিরার উপর ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। ১৩৬২ সালে তিনি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেছিলেন যা শুগো প্রভুদের শাসনের সাথে সংযুক্ত করেছিল: কানরেই কাউন্সিল সিস্টেম। এই ব্যবস্থাটি দুটি উপাদান নিয়ে গঠিত হয়েছিল, কানরেই অফিস এবং সিনিয়র করদ রাজ্য কাউন্সিল (জুশিন কাইগি) যার উপর কানরেই সভাপতিত্ব করেছিলেন। কানরেই কাউন্সিল ব্যবস্থায় সবচেয়ে শক্তিশালী শুগো পরিবারকে সরাসরি মধ্য ও পশ্চিম জাপান শাসনে অংশগ্রহণকারী হিসাবে জড়িত করা হয়েছিল। শোগুনের পাশাপাশি, কানরেই কাউন্সিল মুরোমাচি শাসনের হৃদয় গঠনের জন্য এমন পরিমাণে আবির্ভূত হয়েছিল, ইতিহাসবিদরা এই শাসনকে বাকুফু-শুগো সিস্টেম হিসাবে চিহ্নিত করতে এসেছেন (তনুমা ১৯৭৬: ১২; তানুমা ১৯৭৬: ১২)। হ্যারিংটন ১৯৮৫: ৬৭)।
=== কানরেই কাউন্সিল এবং প্রতিষ্ঠানের পুনর্গঠন ===
কানরেই কাউন্সিল ব্যবস্থা মধ্যস্থতাকারী ছিল। কারণ এটি আমলাতান্ত্রিক শাসনের সামরিক দিককে একত্রিত করেছিল। কান্নো ঘটনার সাথে উদ্ভূত দ্বন্দ্বটি তাকাউজি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত সামরিক করদ রাজ্য প্রতিষ্ঠান এবং তাদায়োশি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত আমলাতান্ত্রিক-বিচারিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে বিচ্ছেদ এবং সংঘর্ষের সাথে সম্পর্কিত। কানরেই কাউন্সিল ব্যবস্থার উত্থানের সাথে সাথে প্রশাসনের সামরিক পক্ষের প্রতিনিধিত্বকারী শুগো প্রভুরা নীতি সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় হিসাবে আমলাতন্ত্রের সাথে দৃঢ়ভাবে আবদ্ধ ছিলেন।
কানরেই অফিস নিজেই শোগুনের সাথে শুগো প্রভুদের স্বার্থকে একত্রিত করে মধ্যস্থতার একটি ভাল উদাহরণ। কানরেইয়ের কাজ ছিল সিনিয়র করদ রাজ্য কাউন্সিল (জুশিন কাইগি) এবং শোগুনের মধ্যে মুখপাত্র হিসাবে কাজ করা, দুজনের মধ্যে মধ্যস্থতা করা (কাওয়াই ১৯৭৭: ৭০)। কানরেইয়ের দৈনন্দিন ভিত্তিতে শাসনের আমলাতান্ত্রিক উপাদানগুলো দেখার, পরামর্শ করা এবং কাউন্সিল এবং আমলাতন্ত্রের কাছে শোগুনাল আদেশগুলো প্রেরণ করাও দায়িত্ব ছিল। কান্রেই ধারাবাহিকভাবে চার প্রজন্মের মধ্যে তাকাউজির সাথে সম্পর্কিত তিনটি শুগো পরিবারের বংশগত গোষ্ঠী থেকে নির্বাচিত হয়েছিল (পাপিনোট ১৯৭২: ২৭): হোসোকাওয়া, হাতাকিয়ামা এবং শিবা। তিনটি পরিবার পালাক্রমে পদটি পূরণ করেছিল। তারা শাসকদের সর্বোচ্চ পদমর্যাদার শুগো পরিবার ছিল এবং কানরেইয়ের পদটি এর সমর্থনে তাদের স্বার্থকে বেঁধে রাখতে সহায়তা করেছিল।
কানরেই কাউন্সিল ব্যবস্থার অন্য উপাদানটি ছিল সিনিয়র করদ রাজ্য কাউন্সিল (জুশিন কাইগি)। কানরেই কাউন্সিলের সভাগুলোর সভাপতিত্ব করেছিলেন, কাউন্সিলের সিদ্ধান্তগুলো শোগুনকে রিলে করেছিলেন এবং শোগুন থেকে কাউন্সিলে আদেশ প্রেরণ করেছিলেন। এই ব্যবস্থায়, কাউন্সিল এবং শোগুনের মধ্যে পরামর্শের মাধ্যমে শাসন নীতি প্রণয়ন করা হয়েছিল, যদিও চূড়ান্ত সিদ্ধান্তগুলো পরবর্তীকালে নেওয়া হয়েছিল (কাওয়াই ১৯৭৭: ৭০-৭১; কাওয়াই ১৯৭৭: ৭০-৭১)। সাতো ১৯৭৭: ৪৮)। শুরুতে, কাউন্সিলটি তিনটি শুগো পরিবারের প্রধানদের সমন্বয়ে গঠিত হয়েছিল যাদের কাছ থেকে কানরেই নিয়মিত নির্বাচিত হয়েছিল এবং শক্তিশালী শুগো পরিবারের আরও চারটি প্রধান: ইয়ামানা, ইশিকি, আকামাতসু এবং কিয়োগোকু (ভার্লি ১৯৬৭: ২৭-৯)। শেষোক্ত দুটি পরিবার আশিকাগা পরিবারের সাথে সম্পর্কিত ছিল না। পরবর্তী কয়েক দশক ধরে ওচি, সাসাকি এবং টোকি পরিবারগুলোর নিয়োগের সাথে সম্পর্কহীন শুগো পরিবারগুলোকে কাউন্সিলে অন্তর্ভুক্ত করার এই প্রবণতা অব্যাহত ছিল। এই প্রবণতাটি ইঙ্গিত দেয় যে শক্তিশালী শুগো পরিবারগুলো, আত্মীয়তা নির্বিশেষে, সিনিয়র করদ রাজ্য কাউন্সিলের মধ্যস্থতাকারী প্রকৃতির মাধ্যমে শাসনের সাথে আবদ্ধ ছিল: শুগো প্রভু এবং শোগুনের মধ্যে দ্বন্দ্ব এবং সম্ভাব্য স্বার্থের দ্বন্দ্বকে শুগো প্রভুদের কাউন্সিলের মধ্যে আলোচনায় তাদের মতামত জানাতে দিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়া হয়েছিল। বোর্ড অফ রিটেইনার্স (সামুরাইডোকোরো) চতুর্দশ শতাব্দীতে ইমাগাওয়া (যিনি একটু পরে কাউন্সিলের সদস্য হয়েছিলেন), হোসোকাওয়া, হাতাকেয়ামা, শিবা এবং টোকির মধ্যে থেকে নির্বাচিত একজন সিনিয়র করদ রাজ্য কাউন্সিল সদস্যেরও নেতৃত্বে ছিলেন। কিয়োতোর রাজধানীতে পুলিশ কার্যাবলী এবং ফৌজদারি বিচার সম্পাদনের উপর বোর্ড অফ রিটেইনারদের দায়িত্ব ছিল (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ৮৮,১০৭)। অফিসধারী স্বয়ংক্রিয়ভাবে জাপানের সবচেয়ে ধনী এবং সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ ইয়ামাশিরো প্রদেশের উপর শুগো হয়ে ওঠে এবং শাসনের সদর দফতর এবং কিয়োতো শহর রক্ষার দায়িত্ব ছিল (ভার্লি ১৯৬৭: ৫৭)। পঞ্চদশ শতাব্দীর শুরুতে, চারটি শুগো পরিবারের মধ্যে থেকে অনুচর বোর্ডের প্রধান বেছে নেওয়া হয়েছিল: ইয়ামানা, আকামাতসু, কিয়োগোকু এবং ইশিকি। রিটেইনার্স বোর্ড কানরেই কাউন্সিল সিস্টেম যা করেছিল তা করেছিল: এটি শুগো প্রভুদের স্বার্থকে শাসনের সাথে সংযুক্ত করেছিল এবং এর ফলে তাদের মধ্যে সম্ভাব্য দ্বন্দ্বের মধ্যস্থতা করেছিল। শাসকগোষ্ঠীর সম্ভাব্য সংঘাতের উৎস শুগো প্রভুরা শাসকগোষ্ঠীর একটি প্রতিষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী হয়ে ওঠায় মধ্যস্থতাকারী ছিল।
সিনিয়র করদ রাজ্য কাউন্সিল এবং রিটেইনার্স বোর্ডে শুগোর অংশগ্রহণ পুনর্নির্মিত শাসনব্যবস্থায় তাদের অংশগ্রহণের আরও দুটি বিশিষ্ট উদাহরণ ছিল। এই অংশগ্রহণের গুরুত্বকে অবমূল্যায়ন করা যায় না: এই মধ্যস্থতাকারী যন্ত্রগুলো ব্যবহারের মাধ্যমেই আশিকাগা শোগুনরা তাদের নির্দেশনায় রাষ্ট্রকে কেন্দ্রীভূত করতে সক্ষম হয়েছিল। যেমনটি আমরা বারবার দেখব, মুরোমাচি সমাজের সমস্ত স্তরে নিয়োগের ব্যবস্থা হিসাবে হেডশিপ বন্ধন (সোরিও) আকারে আত্মীয়তা বড় হয়ে উঠেছে: এখানেও, সর্বোচ্চ অবস্থানের শুগো প্রভুরা বেশিরভাগই আশিকাগার শাখা পরিবার ছিল। যাইহোক, এই আত্মীয়তার বন্ধনগুলো আধা-স্বাধীন শুগো প্রভু এবং শাসকদের মধ্যে মধ্যস্থতার পথে খুব কমই কাজ করেছিল। বরং কানরেই কাউন্সিল ব্যবস্থার মাধ্যমে শাসন পরিচালনায় শুগো প্রভুদের কার্যকর অংশগ্রহণ ছিল যা তাদের স্বার্থকে শাসনের সাথে আগের চেয়ে আরও দৃঢ়ভাবে আবদ্ধ করেছিল।
=== আশিকাগা এবং শুগো জোটের উসে ===
১৩৬২ সালে দেশের দুটি সবচেয়ে শক্তিশালী শুগো ঘর, ওউচি এবং ইয়ামানা, এই শর্তে আশিকাগা শাসনের কাছে আত্মসমর্পণ করেছিল যে শোগুন তাদের নিজ নিজ প্রদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবে না (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ২৫)। পরবর্তীকালে, ইয়ামানা, যারা আশিকাগার সাথে সম্পর্কিত ছিল এবং ওউচি, যারা সম্পর্কিত ছিল না, সরকারী বিষয়ে ক্রমবর্ধমান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে শুরু করে। যাইহোক, কয়েক দশকের মধ্যে, উভয় শুগো ঘর শোগুনের ক্রোধের জন্য যথেষ্ট শক্তিশালী হয়ে ওঠে।
১৩৬৬ সালে প্রথম কানরেই অফিসধারীর পিতা, শিবা টাকাতসুনে, যিনি তার তেরো বছর বয়সী ছেলের উপর আসল ক্ষমতা রেখেছিলেন এবং যিনি শিবা পরিবারের সদস্যদের মূল সরকারী অফিসগুলোতে বসানোর ইঞ্জিনিয়ার করেছিলেন, তার ক্রমবর্ধমান শক্তি এবং অহংকারের কারণে বিশ্বাসঘাতক হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছিল (তিনি কানরেই পদ গ্রহণ করে অবমাননা বোধ করেছিলেন, তাই তার পরিবর্তে তিনি তার ছেলেকে নিয়োগ দিয়েছিলেন)। একটি গুরুত্বপূর্ণ শুগো পরিবারের বিরুদ্ধে শক্তির প্রথম প্রদর্শনে, যোশিয়াকিরা ইয়ামানা, সাসাকি, যোশিমি এবং টোকি শুগো প্রভুদের এচিজেন প্রদেশের শিবা আক্রমণ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। শিবা পরাজিত হয়েছিল এবং এচিজেনে তাদের অঞ্চল পুনরায় বিতরণ করা হয়েছিল (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ৯২)। ১৩৬৭ সালে শিবা পরিবারকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর হোসোকাওয়া ইয়োরিয়ুকিকে কানরেই পদের উত্তরসূরি হিসাবে নামকরণ করা হয়েছিল: শোগুন যোশিয়াকিরার মৃত্যুর পর ইয়োরিয়ুকি তরুণ শোগুন যোশিমিতসুর সংখ্যালঘু থাকাকালীন শাসনকে আরও দৃঢ় ভিত্তির উপর স্থাপন করতে সক্ষম হন। ১৩৬৬ সালে তাদের নিজস্ব সহকর্মীদের একজনকে আক্রমণ করার জন্য শুগো প্রভুদের ব্যবহার, শুগো প্রভুদের তুলনায় শোগুনের ক্রমবর্ধমান কর্তৃত্ব এবং বয়সের সাথে বাড়তে থাকা জবরদস্তির একটি কার্যকর যন্ত্রের উত্থানের দিকে ইঙ্গিত করে। তখন পর্যন্ত, আমরা সত্যিকারের শৃঙ্খলাবদ্ধ ব্যবস্থার কার্যত অস্তিত্বহীনতা দেখেছি যা শোগুন তার শুগো প্রভুদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে পারে। শোগুন এবং শুগো প্রভুদের মধ্যে উদ্ভূত নতুন মধ্যস্থতাকারী যন্ত্রগুলোর সাথে একত্রে, শোগুন-শুগো জোটের মাধ্যমে এক শুগো প্রভুকে অন্যের বিরুদ্ধে দাঁড় করানোর নতুন জবরদস্তিমূলক যন্ত্রটি শোগুনের হাতকে শক্তিশালী করেছিল।
১৩৬২ সালে কিয়োতোর বিরুদ্ধে সর্বশেষ দক্ষিণ দরবারের আক্রমণ আশিকাগাকে রাজধানী থেকে সরে আসতে বাধ্য করেছিল। তবে পূর্ববর্তী অনেক প্রচেষ্টার মতো, সাম্রাজ্যবাদীদের শেষ পর্যন্ত কিছু অর্জন না করেই একটি বড় পাল্টা আক্রমণের মুখে পিছু হটতে হয়েছিল (সানসোম ১৯৬১: ১০৮)। ১৩৫০-এর দশকে সাম্রাজ্যবাদী সেনাবাহিনীর মধ্যে যে উচ্ছ্বাস ছিল তা ম্লান হয়ে গেছে। এই তারিখের পরে প্রতিরোধ বিক্ষিপ্ত এবং সম্পূর্ণ প্রতিরক্ষামূলক হয়ে ওঠে। অবশেষে ১৩৬৯ সালে সম্রাট গো-মুরাকামির মৃত্যুর এক বছর পর কট্টর সাম্রাজ্যবাদী জেনারেল কুসুনোকি মাসানোরি শাসকগোষ্ঠীর কাছে আত্মসমর্পণ করেন। তাঁর আত্মসমর্পণের ফলে কেন্দ্রীয় প্রদেশগুলোর প্রতি সাম্রাজ্যবাদী হুমকির অবসান ঘটে (সানসোম ১৯৬১: ১০৮)।
=== দরবারের কাছে বৈধতা চাওয়া ===
১৩৭০ সালে ইমাগাওয়া সাদায়ো (রিওশুন) দ্বারা নিযুক্ত করা হয়েছিল কানরেই ইয়োরিয়ুকি এবং সিনিয়র করদ রাজ্য কাউন্সিল কিউশুতে দক্ষিণ দরবারের প্রতিরোধের শেষ দুর্গটি নামিয়ে আনতে। বারো বছরের কঠোর অভিযানের পর সাম্রাজ্যবাদী প্রতিরোধ ১৩৮১ সালে কিকুচি পরিবারের পরাজয়ের সাথে ভেঙে পড়ে। ১৩৮৫ সালে শিমাজু উজিহিসার মৃত্যুর সাথে সাথে সর্বশেষ কিউশু প্রাদেশিক ডোমেন শাসনব্যবস্থার প্রতি তার আনুগত্য ঘোষণা করেছিল (সানসোম ১৯৬১: ১১২)। কিউশুর পতনের সাথে সাথে সমগ্র পশ্চিম জাপান আশিকাগা শাসনের শাসন ও প্রভাবের অধীনে আসে। তবে অভিজাতদের উপর আশিকাগা শাসনকে বৈধতা দেওয়ার জন্য একা প্রচারণা অপর্যাপ্ত ছিল। ১৩৬৭ এর পর শোগুন যোশিমিতসুর সংখ্যালঘু সময়ে, কানরেই হোসোকাওয়া ইয়োরিয়ুকি অভিজাতদের চোখে শাসনকে বৈধতা দেওয়ার প্রয়াসে সক্রিয় হয়ে ওঠেন। তিনি বেশ কয়েকটি অত্যন্ত রক্ষণশীল পদক্ষেপের মাধ্যমে এটি করেছিলেন, কিয়োতোর অভিজাতদের মধ্যে প্রতিপত্তি অর্জন করেছিলেন। তিনি তরুণ শোগুনকে এতে অংশ নিয়ে একটি প্রাচীন দরবার র্যাংকিং সিস্টেম ব্যবহার করেছিলেন (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ২৬)। তিনি অতীতের যে কোনও যোদ্ধা নেতার চেয়ে দরবারের সাথে শাসকগোষ্ঠীকে আরও ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত করেছিলেন। এটি করার মাধ্যমে, তিনি শাসনকে রাজদরবারের কাছাকাছি বেঁধে রেখেছিলেন, যার ফলে নানবোকু-চো দ্বন্দ্বে ইন্ধন জুগিয়েছিল এমন মতাদর্শের কলঙ্ক মুছে ফেলা হয়েছিল: আশিকাগা তাকাউজিকে সাম্রাজ্যবাদী শক্তি পুনরুদ্ধারের বিরুদ্ধে লড়াই করা বিশ্বাসঘাতক হিসাবে দেখা হয়েছিল।
জাপানি সমাজের বিভিন্ন শ্রেণির মধ্যে এর জনপ্রিয়তার কারণে দরবার সমাজ এত দীর্ঘ সময় টিকে ছিল। এস্টেট স্তরে, কৃষকরা যোদ্ধাদের চেয়ে অভিজাতদের সাথে অনেক বেশি ঘনিষ্ঠ বোধ করেছিল। অভিজাতদের ক্ষয়িষ্ণু শক্তি সত্ত্বেও, তাদের প্রভাব তাদের প্রকৃত ক্ষমতার বাইরে চলে গিয়েছিল। কারণ তারা ঐতিহ্যের বৈধতা এবং সংস্কৃতির ক্যারিশমা ধারণ করেছিল যা যোদ্ধাদের ছিল না। এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই যে ইয়োরিয়ুকি তরুণ শোগুনকে দরবারের অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিল: এই অংশগ্রহণটি মধ্যস্থতাকারী ছিল, দরবারের র্যাংকিং সিস্টেমের সর্বোচ্চ সামরিক নেতাকে জড়িত করেছিল যা বেশ কয়েক শতাব্দী আগের, এবং এর ভিত্তি হিসাবে যোদ্ধাসহ প্রত্যেকের উপর সাম্রাজ্যবাদী ধারার প্রাধান্য ছিল, যাদের সম্রাটের কাছ থেকে উপাধি পেতে হয়েছিল। এই দরবারের র্যাংকিং রীতিতে অংশ নিয়ে, আশিকাগা শাসন পুরো সমাজকে একটি শক্তিশালী বার্তা পাঠাচ্ছিল: দরবার কর্তৃক প্রদত্ত বৈধতা তখনও বৈধ এবং তখনও গুরুত্বপূর্ণ (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ২০)। এই অংশগ্রহণ যোদ্ধা শাসন এবং দরবারের মধ্যে উত্তেজনা দূর করেছিল এবং যোদ্ধা শ্রেণির মধ্যে দরবারের সংস্কৃতি প্রচারের অনিচ্ছাকৃত প্রভাব ফেলেছিল, স্বাদের একটি সংমিশ্রণ তৈরি করেছিল যা চিরকালের জন্য জাপানি সংস্কৃতির এই সময়টিকে উজ্জ্বল উদ্ভাবনের এক হিসাবে চিহ্নিত করেছে। একদিক থেকে এই অংশগ্রহণ ছিল একটি অপ্রচলিততা যা বাস্তব জগৎ থেকে সরানো বলে মনে হয়েছিল,খানে যোদ্ধারা সরাসরি ক্ষমতা প্রয়োগ করত। তবে বৈধতার প্রশ্নটি অগত্যা ক্ষমতার প্রত্যক্ষ অনুশীলনের সাথে আবদ্ধ নয়। বৈধতা মতাদর্শের সাথে আবদ্ধ, এবং অভিজাত আভিজাত্য শাসনের আদর্শিক ভিত্তি যোদ্ধাদের শাসনের চেয়ে ভাল ভিত্তি ছিল। একা শক্তি প্রয়োগ বৈধতা তৈরি করতে পারে না, এবং দরবারকে ঘিরে যে সাংস্কৃতিক পরিবেশ ছিল তা তখনও সামুরাই তরোয়ালের চেয়ে অনেক বেশি প্ররোচিত, অনেক বেশি মার্জিত ছিল। যোদ্ধারা নিজেরাই আভিজাত্যদের সংস্কৃতির প্রতি আকৃষ্ট হয়েছিল এবং উত্সাহের সাথে পরবর্তীকালের স্বাদগুলো অনুকরণ করেছিল যতক্ষণ না তারা এমন একটি সংশ্লেষণ তৈরি করতে সক্ষম হয়েছিল যা আগে যা ছিল তার বাইরে চলে গিয়েছিল যেমন জেন দ্বারা প্রভাবিত রক গার্ডেনের উত্থান অন্যান্য শিল্প ফর্মগুলোর মধ্যে যা আজ অবধি স্থায়ী প্রভাব ফেলেছে। এবং কেবল এই কারণেই, চতুর্দশ শতাব্দীর শেষ কয়েক দশক ধরে শোগুন এবং রাজদরবারের মধ্যে যে সংযোগ কার্যকর হয়েছিল, তা শোগুনের শক্তির বৈধতা প্রশস্ত করার প্রভাব ফেলেছিল।
দ্য কানরি ইয়োরিয়ুকি ১৩৬৮ সালে শেষ অর্ধ-কর ডিক্রি (হানজেই) জারি করেছিলেন। এই ডিক্রিটি একটি বিস্তৃত এবং সিদ্ধান্তমূলক মধ্যস্থতাকারী যন্ত্র ছিল যা শাসকদের সাথে মহৎ স্বার্থকে বেঁধে রাখার জন্য ব্যবহৃত হয়েছিল: এটি রাজকীয় পরিবারের মালিকানাধীন জমি, প্রধান উপাসনালয়গুলোর নিয়ন্ত্রণাধীন জমি এবং রাজকীয় রিজেন্টদের মালিকানাধীন জমি (ফুজিওয়ারা) নিষিদ্ধ করেছিল। ব্যতিক্রমগুলোর মধ্যে আভিজাত্য জমিগুলোও অন্তর্ভুক্ত ছিল যা পূর্ববর্তী শোগুন (সম্ভবত যোশিয়াকিরা?) দ্বারা সম্পূর্ণ শিরোনাম দেওয়া হয়েছিল এবং সামুরাই স্টুয়ার্ডস (জিটো) দ্বারা পরিচালিত এস্টেটগুলো (উইন্টারস্টিন ১৯৭৪: ২১৯-২০)। এই ডিক্রিটি দেশব্যাপী সমস্ত এস্টেটের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য ছিল এবং এর আসল গুরুত্ব ছিল এস্টেটগুলোতে আরও সামুরাই আক্রমণ রোধ করতে এবং ইতিমধ্যে সংঘটিত সামুরাই আক্রমণের মুখে অভিজাতদের স্বার্থ রক্ষার জন্য ব্যবহৃত শক্তিশালী ভাষা। পূর্ববর্তী অর্ধ-করের ডিক্রিগুলোর বিপরীতে, এটি রক্ষণশীল ছিল এবং এর লক্ষ্য ছিল অভিজাত জমিগুলোকে ন্যায়সঙ্গত করার পরিবর্তে বিভাজন থেকে রক্ষা করা।
১৩৬৮ অর্ধ-কর ডিক্রির সাথে, শাসনটি ১৩৫২ ডিক্রি থেকে অনেক দূরে এসেছিল। তবে ইতিমধ্যে সংঘটিত সামুরাই আক্রমণের বাস্তবতা বিপরীত করা যায়নি। এখানে, মতাদর্শগতভাবে প্রকাশ্যে যা বলা হয়েছিল তা প্রদেশগুলোতে প্রকৃতপক্ষে যা ঘটছিল তা থেকে বিচ্যুত হয়েছিল। যেমনটি আমরা উপরে দেখেছি, ১৩৬৮ ডিক্রি সত্ত্বেও এস্টেটগুলোতে সামুরাই এবং শুগো প্রভুদের আক্রমণ মারাত্মক ছিল। আর পঞ্চদশ শতাব্দীতে ভূমি দখলের এই প্রবণতা আরও প্রকট হতে থাকে। আমাকে অবশ্যই এই সিদ্ধান্তে উপনীত হতে হবে যে ১৩৬৮ ডিক্রিটি যোদ্ধাদের অব্যাহত যোদ্ধা টেকওভারের প্রমাণের কারণে এস্টেট এবং তাদের আয়ের উপর নিয়ন্ত্রণ নেওয়া থেকে বিরত রাখতে সামগ্রিকভাবে অকার্যকর ছিল। এক অর্থে, ১৩৬৮ সালের ডিক্রিটি একটি আদর্শিক দলিল ছিল যা শোগুন এবং রাজকীয় দরবারের মধ্যে প্রতিষ্ঠিত ঘনিষ্ঠ সংযোগগুলো অনুসরণ করে আভিজাত্যদের চোখে আশিকাগা শাসনকে বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। তদুপরি, আশিকাগা শোগুনরা ইচ্ছা থাকলেও এস্টেটগুলোর আয়ের উপর যোদ্ধাদের অব্যাহত আক্রমণ বন্ধ করতে সক্ষম ছিল না। যতই অকার্যকর হোক না কেন, ১৩৬৮ সালের ডিক্রি স্বীকৃত মহৎ স্বার্থ একটি যোদ্ধা শাসন দ্বারা মতাদর্শগতভাবে রক্ষা করা হয়েছিল এবং এই প্রক্রিয়ায় উভয়ের স্বার্থকে একত্রে আবদ্ধ করা হয়েছিল।
অবশেষে, ১৩৬০-এর দশকে আবির্ভূত মুরোমাচি শাসনের প্রত্যক্ষ শাসন ভৌগোলিকভাবে কান্তোতে অবস্থিত পূর্ববর্তী কামাকুরা শাসনের বিপরীতে পশ্চিম ও কেন্দ্রীয় প্রদেশগুলোতে সীমাবদ্ধ ছিল। বাইরে শুগো লর্ডস (তোজামা) আশিকাগার সাথে সম্পর্কিত নয় যেমন টেকেদা, চিবা, ইউকি, সাতাকে, ওয়ামা, উতসুনোমিয়া, শোনি, ওটোমো, আসো এবং শিমাজু পরিবারগুলো, যাদের সকলেই কানটো এবং কিউশু অঞ্চলে বা তার কাছাকাছি কেন্দ্রীভূত ছিল তারা কানরেই কাউন্সিল ব্যবস্থায় অংশ নেয়নি এবং শাসন থেকে আধা-স্বাধীন ছিল (ভার্লি ১৯৬৭: ২৯; ভার্লি ১৯৬৭: ২৯)। হল ১৯৬৬: ১৯৯)। কিয়োতো থেকে সহজে নিয়ন্ত্রিত হয়নি এমন অঞ্চলে তাদের প্রধান অবস্থানের কারণে আশিকাগা দ্বারা তাদের মৌনভাবে স্বীকৃত এবং শুগো উপাধি দেওয়া হয়েছিল (হ্যারিংটন ১৯৮৫: ৬৭)।
=== কিউশু ===
১৩৭০ সালে শুরু হওয়া কিউশু অভিযানের পর কিউশু ডেপুটি (তান্দাই) সেই দ্বীপে মুরোমাচি শাসনের প্রতিনিধি হন। ইমাগাওয়া সাদায়ো (রিওশুন) কার্যকরভাবে দক্ষিণ দরবারের বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযানের বিচার করেছিলেন এবং শিমাজু উজিহিসার বাহিনীর বিরুদ্ধে তার আক্রমণ চালিয়ে যান, প্রক্রিয়াটিতে স্থানীয় কিউশু কোকুজিনের সমর্থন অর্জন করেছিলেন (হ্যারিংটন ১৯৮৫: ৮৫-৬)। সাদায়োর মতো ডেপুটিরা তাদের নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে মুরোমাচির প্রতিনিধি ছিলেন, এমনকি যখন তারা স্থানীয় সামুরাইকে করদের পুরো ক্ষমতা অহংকার করেছিলেন। উদাহরণস্বরূপ, ১৩৭৭ সালে সাদায়ো এবং একষট্টি জন স্থানীয় সামুরাইয়ের সমন্বয়ে একটি সামুরাই জোট (ইক্কি) এর মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। চুক্তিতে শর্ত দেওয়া হয়েছিল, জোটের সদস্যদের মধ্যে সমস্ত বিরোধ কিউশু ডেপুটির কাছে নিয়ে যাওয়া হবে, যখন জোটের সদস্য এবং ডেপুটির মধ্যে বিরোধগুলো কিয়োতোর মুরোমাচি শাসনে নিয়ে যাওয়া হবে (হ্যারিংটন ১৯৮৫: ৮৭)। কিউশু ডেপুটি ছিলেন একজন মধ্যস্থতাকারী ব্যক্তিত্ব যিনি শাসকদের স্বার্থ এবং তার এখতিয়ারাধীন স্থানীয় অঞ্চলের স্বার্থকে একত্রিত করেছিলেন। স্বাধীনতার প্রলোভনের কারণে এটি একটি অনিশ্চিত অবস্থান ছিল। তবে যে কোনও কারণেই হোক না কেন, মুরোমাচি শাসন পুরো জাতির উপর তাদের সরাসরি নিয়ন্ত্রণ প্রসারিত করেনি এবং তাই জবরদস্তিমূলক ও মধ্যস্থতাকারী যন্ত্রের মাধ্যমে এই অঞ্চলের শুগো প্রভু এবং সামুরাইকে প্রভাবিত করার জন্য তাদের প্রতিনিধি হিসাবে কাজ করার জন্য কিউশু ডেপুটির মতো নিয়োগকারীদের উপর নির্ভর করতে এসেছিল।
=== কান্তো ===
চতুর্দশ শতাব্দীর শেষের দিকে, কানটো অঞ্চলটি শক্তিশালী যোদ্ধা পরিবারগুলোর দ্বারা আধিপত্য ছিল। এর মধ্যে উসুগিরা ছিল সবচেয়ে শক্তিশালী। তারা তাদের নিজস্ব স্বার্থ এগিয়ে নেওয়ার জন্য এই অঞ্চলের পরিবারগুলোর মধ্যে ছড়িয়ে পড়া লড়াইয়ের সুযোগ নিতে সক্ষম হয়েছিল। ১৩৬৮ সালে উৎসুনোমিয়া পরিবার মুরোমাচি শাসনের কামাকুরা সদর দফতরের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছিল। কারণ তারা উয়েসুগির কাছে তাদের শুগো পোস্ট হারিয়েছিল। উসুগি পরিবার তাদের এখতিয়ারের অধীনে শুগো পোস্ট সংগ্রহ করে এবং অন্যান্য পরিবারের ব্যয়ে কান্টো অঞ্চলে করদ রাজ্যগুলোর ঘিরে ফেলে তাদের প্রভাব প্রসারিত করতে সক্ষম হয়েছিল (হ্যারিংটন ১৯৮৫: ৮২-৩)। কেউ একটি তত্ত্ব এগিয়ে নিতে পারে যে কান্টো অঞ্চলটি কিয়োতো থেকে আধা-স্বাধীন হয়ে উঠেছে এবং উসুগি সমর্থনের কারণে মুরোমাচি শাসনের কামাকুরা সদর দফতর বিদ্যমান ছিল। উয়েসুগি পরিবার তাদের অনাকাঙ্ক্ষিত অবস্থানের কারণে কান্টো কানরেই পদে তাদের নিয়োগের মাধ্যমে মুরোমাচি সরকার কর্তৃক আইনত স্বীকৃত হয়েছিল।
মুরোমাচি শাসনের কামাকুরা সদর দফতর কিউশু ডেপুটি (তান্দাই) এর মতোই কাজ করেছিল: এটি আঞ্চলিক মধ্যস্থতাকারী অফিসে পরিণত হয়েছিল যার মাধ্যমে শাসনের আদেশ বহির্মুখী কানটো অঞ্চলে প্রেরণ করা হয়েছিল। উপরে দেখা বাস্তবে কান্টো উসুগির মতো শক্তিশালী পরিবার দ্বারা আধিপত্য ছিল। ক্রমবর্ধমানভাবে, কামাকুরা সদর দফতর মুরোমাচি শাসন থেকে স্বাধীন হয়ে ওঠে এবং সমস্ত প্রয়োজনীয় উদ্দেশ্যে আঞ্চলিক বিরোধ, আঞ্চলিক কর আরোপের যত্ন নেয় এবং কিয়োতোর মুরোমাচি সরকারের ন্যূনতম উল্লেখ সহ কান্টোতে শুগো প্রভুদের সাথে সম্পর্ক গড়ে তোলে - যদিও জায়গীর নিশ্চিত করার অধিকার এবং শুগো নিয়োগ অনুমোদনের অধিকার প্রযুক্তিগতভাবে কিয়োতোর হাতে রয়ে গেছে (হ্যারিংটন ১৯৮৫: ৮৩-৫)।
=== আশিকাগা শক্তির কেন্দ্রীকরণ এবং নানবোকু-চো যুদ্ধের সমাপ্তি: ১৩৭৯–১৩৯৯ ===
১৩৬০-এর দশকের গুরুত্বপূর্ণ দশকে একের পর এক প্রতিরোধের ক্ষেত্র মুরোমাচি শাসনের হাতে পড়েছিল: স্পষ্টতই, ওচি এবং ইয়ামানার মতো শক্তিশালী শুগো প্রভুরা নিজেদেরকে আধা-স্বাধীন প্রভু হিসাবে জমা দিয়েছিলেন; সময় যত গড়িয়েছে ততই দক্ষিণ দরবারের প্রতিরোধ আরও নিরর্থক হয়ে উঠেছে। সামরিকভাবে শাসনব্যবস্থা ১৩৬৬৬৬৬৬ সালে শুগো প্রভুদের তাদের নিজস্ব সহকর্মীদের একজনকে আক্রমণ করার আহ্বান জানাতে সক্ষম হয়েছিল, শোগুনাল নিয়ন্ত্রণে শুগোর ক্রমবর্ধমান অধীনতার দিকে ইঙ্গিত করে। কানরেই কাউন্সিল সিস্টেম তৈরি এবং বাকুফু আমলাতন্ত্রে শক্তিশালী শুগো পরিবারগুলোর ক্রমবর্ধমান অংশগ্রহণের সাথে হাত মিলিয়ে রাজকীয় দরবারের সাথে সম্পর্ক শাসনের বৈধ ভিত্তিকে আরও প্রশস্ত করেছিল। এই মূল বিকাশগুলো কেবল শোগুনাল নিয়ন্ত্রণ বাড়ানোর জন্যই নয়, শুগো প্রভু এবং অভিজাতদের স্বার্থকে শাসনের সাথে আরও ঘনিষ্ঠভাবে আবদ্ধ করার জন্য ব্যবহৃত হয়েছিল। [১৮] তবে ভৌগোলিকভাবে, মুরোমাচি শাসনের পরিধি সীমিত ছিল, কানটো এবং কিউশু অঞ্চলের এখতিয়ার আঞ্চলিক প্রতিনিধিদের কাছে অর্পণ করে এবং হনশুর কেন্দ্রীয় ও পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশগুলোর উপর কমবেশি সরাসরি নিয়ন্ত্রণ রেখেছিল।
১৩৭৯ সালে যোশিমিতসুর কর্তৃত্ব গ্রহণের পঞ্চাশ বছর পর মুরোমাচি শাসন দেশের অপ্রতিদ্বন্দ্বী সরকার হিসাবে তার সবচেয়ে শক্তিশালী পর্যায়ে প্রবেশ করেছিল। শোগুনের নিয়ন্ত্রণ বাড়ার সাথে সাথে শোগুন এবং শুগো প্রভুদের মধ্যে সংযোগ আরও শক্ত হয়েছিল। প্রধান যন্ত্র এবং তাদের প্রভাবগুলো যা শোগুনকে শুগো প্রভুদের উপর নিয়ন্ত্রণ প্রয়োগ করতে এবং জড়িত শাসনের বৈধতার ভিত্তিকে প্রশস্ত করতে সক্ষম করেছিল: ১) মুরোমাচি শাসন এবং রাজকীয় দরবারের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের ধারাবাহিকতা; ২) শুগো প্রভুদের লক্ষ্য করে বাধ্যতামূলক আবাসিক নীতি; ৩) শোগুণাল আর্মির (গোবাঁশু) অধিকতর উন্নয়ন; ৪) বেশ কয়েকটি শুগো প্রভুর জোট ব্যবহার করে শোগুনাল আধিপত্যের উত্থান। ৫) শাসকগোষ্ঠী কর্তৃক বাণিজ্যিক ও কৃষি রাজস্ব এবং করের ব্যবহার। এই সমস্ত পরিবর্তনগুলো কেন্দ্রীভূত শক্তির অব্যাহত প্রবণতার উদাহরণ দেয় যা শাসনের শক্তি বৃদ্ধি করেছিল। আশিকাগা এবং সাম্রাজ্যীয় দরবার
অধীনে যোশিমিতসু (সক্রিয় ১৩৭৯–১৪০৮) যিনি ইয়োরিয়ুকিকে বরখাস্ত করার পরে ক্ষমতার লাগাম ধরেছিলেন কানরেই, এই বিশেষ সংযোগের প্রভাবগুলো জাপানি ইতিহাসের অন্যতম উজ্জ্বল সময়কে উত্সাহিত করেছিল, স্থাপত্য ও সাংস্কৃতিক ফর্মগুলোর পরিপক্কতার জন্য বিখ্যাত যা তখন থেকে জাপানি সংস্কৃতির বৈশিষ্ট্যযুক্ত। রাজদরবার এবং এর সংস্কৃতির সাথে তাঁর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক এবং নতুন শিল্পের প্রতি তাঁর পৃষ্ঠপোষকতা সামরিক অভিজাতদের কাছে বিশেষত শুগো প্রভুদের মাধ্যমে এই সংস্কৃতি ছড়িয়ে দিতে সহায়তা করেছিল (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ৩১-৩২; গ্রসবার্গ ১৯৮১: ৩১-৩২)। কাওয়াই ১৯৭৭: ৭২)। শোগুন এবং রাজকীয় দরবারের মধ্যে এই সংযোগ উভয় প্রতিষ্ঠানে অতিরিক্ত মর্যাদা এনেছিল এবং শোগুনকে নাগরিক বৈধতা এবং সংস্কৃতির আভা দিয়েছিল যা পূর্ববর্তী কামাকুরা শাসনের অভাব ছিল।
দরবারের প্রতিষ্ঠানগুলোতে অংশ নিয়ে, শোগুন দরবারের সংস্কৃতির বেশিরভাগ পরিমার্জিত বিনোদনও গ্রহণ করেছিলেন। পূর্ব প্রাতিষ্ঠানিক সংযোগের ফলে সাংস্কৃতিক সাধনা এসেছিল। আদর্শিক ন্যায্যতার সাথে সংস্কৃতির আরও মিল রয়েছে: যেমনটি আমরা আগের বিভাগে দেখেছি, দরবারের সংস্কৃতির বেশিরভাগ অংশ যোদ্ধাদের কাছে অস্বীকার করা বৈধতা উপভোগ করেছিল।
=== বলপ্রয়োগের একচেটিয়া: বাধ্যতামূলক বাসস্থান ===
শোগুন-শুগো সম্পর্কের দিকে অগ্রসর হয়ে, ১৩৮০-এর দশকে কানরেই কাউন্সিল ব্যবস্থাটি যোশিমিতসু দ্বারা শক্তিশালী করা হয়েছিল যখন তিনি পশ্চিম ও মধ্য শুগো প্রভুদের কিয়োতোতে বাসস্থান নিতে রাজি করেছিলেন। এমনকি তিনি ১৩৮৯ সালে ওউচি ইয়োশিহিরোর সাথে দেখা করতে গিয়েছিলেন এবং তার তথাকথিত তীর্থযাত্রার সময় তাকে কিয়োতোতে বাস করতে রাজি করান। এই সার্কিটগুলো তিনি যে প্রদেশগুলোতে ভ্রমণ করেছিলেন সেগুলোর মাধ্যমে তাঁর শক্তি প্রদর্শন করতে ব্যবহৃত হয়েছিল (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ২৯-৩০)। যোশিমিতসু যে বাধ্যতামূলক আবাসিক নীতি চালু করেছিলেন তা ছিল প্রধান জবরদস্তিমূলক নীতি যা কানরেই কাউন্সিল ব্যবস্থাকে সহায়তা করেছিল এবং শোগুনকে শুগো প্রভুদের চারপাশে তার খপ্পর শক্ত করতে সক্ষম করেছিল। রাজধানী শহর ছেড়ে যাওয়ার অনুমতি খুব কমই শুগো প্রভুকে দেওয়া হয়েছিল: এটি কেবল সিনিয়র করদ রাজ্য কাউন্সিলে আলোচনার পরে মঞ্জুর করা হয়েছিল। এমনকি প্রাদেশিক বিদ্রোহ বা দক্ষিণ দরবারের গেরিলা কার্যকলাপের ক্ষেত্রে অনুমতি দেওয়া হলেও, উপযুক্ত জিম্মিদের কিয়োতোতে রেখে দেওয়া হয়েছিল। যদি শুগো প্রভু অনুমতি ছাড়াই চলে যান তবে এটি রাষ্ট্রদ্রোহের সমতুল্য হিসাবে দেখা হত (কাওয়াই ১৯৭৭: ৬৮-৯; তনুমা ১৯৭৬: ১৩)।
কান্তো এবং কিউশু শুগোকে কিয়োতোতে বাধ্যতামূলক বসবাসের এই আদেশ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল। যাইহোক, মুরোমাচি শাসনের কামাকুরা সদর দফতর কান্টো শুগো প্রভুদের ক্ষেত্রে অনুরূপ নীতি প্রবর্তন করেছিল এবং তাদের কামাকুরায় প্রাসাদ প্রতিষ্ঠা করতে বাধ্য করেছিল যেমন পশ্চিম ও কেন্দ্রীয় শুগো প্রভুরা কিয়োতোতে প্রাসাদ তৈরি করেছিল (কাওয়াই ১৯৭৭: ৬৮)। কিয়োতোতে ম্যানশন বিল্ডিং ফ্যাশনেবল হয়ে ওঠে এবং শেষ পর্যন্ত কিউশুর শিমাজুর মতো শুগো প্রভুদের অন্তর্ভুক্ত করে, যিনি কিয়োতোতে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যদিও তার এটি করার প্রয়োজন ছিল না। শুগো প্রভুদের সত্যিই এই বিষয়ে খুব কম পছন্দ ছিল। তারা হয় কিয়োতোতে বাস করত অথবা শাসকগোষ্ঠীর বিশ্বাসঘাতক হিসাবে চিহ্নিত হয়েছিল। কানরেই কাউন্সিল সিস্টেমের মতো প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি, বাধ্যতামূলক আবাসিক নীতির জাতীয় দৃষ্টিকোণ থেকে এবং প্রাদেশিক দৃষ্টিকোণ থেকে উভয়ই অগণনীয় প্রভাব ছিল। প্রারম্ভিকদের জন্য, শুগো প্রভুদের শক্তি এই নীতি দ্বারা মারাত্মকভাবে সীমাবদ্ধ ছিল: তাদের চলাচলের স্বাধীনতা অবরুদ্ধ করা হয়েছিল। দ্বিতীয়ত, পঞ্চদশ শতাব্দীর দ্বিতীয় চতুর্থাংশে সময় অতিবাহিত হওয়ার সাথে সাথে প্রদেশগুলোতে প্রকৃত শক্তি শুগো প্রভুদের কাছ থেকে দূরে সরে যায় এবং ডেপুটি শুগো (শুগো-দাই) এবং প্রদেশগুলোতে বসবাসকারী অন্যান্য স্বাধীন সামুরাই (কোকুজিন) এর উপর বিশ্রাম নেয়। সুতরাং, শুগো প্রভুদের দৃষ্টিকোণ থেকে বাধ্যতামূলক আবাসিক নীতি দীর্ঘমেয়াদী বিপর্যয় হিসাবে প্রমাণিত হয়েছিল (কাওয়াই ১৯৭৭: ৭৩)। ডেপুটি শুগোর নিয়োগের প্রয়োজন ছিল বাধ্যতামূলক আবাসিক নীতি যদি শুগো প্রভুরা প্রদেশগুলোতে তাদের ক্ষমতা বজায় রাখতে চায়। স্বল্পমেয়াদে, শাখা পরিবারের সদস্যদের এবং সামুরাই কোকুজিনকে ডেপুটি শুগো হিসাবে নিয়োগ দেওয়া এবং প্রদেশগুলোতে তাদের নিজস্ব প্রতিনিধি হিসাবে ব্যবহার করা ভাল কাজ করেছিল; কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে, শুগো প্রভুদের হাত থেকে ক্ষমতা তাদের ভাড়া করা লোকদের হাতে চলে যায়।
=== শোগুনাল আর্মি ===
ইয়োশিমিতসু সামরিক শক্তি প্রয়োগ করে শুগো প্রভুদের আনুগত্যে নামিয়ে আনতে দ্বিধা করেননি এই অজুহাতে যে তারা খুব শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। তিনি তাঁর উপর নির্ভরশীল প্রায় তিন হাজার যোদ্ধা নিয়ে পাঁচটি বিভাগ নিয়ে গঠিত একটি নতুন শোগুনাল সেনাবাহিনী (গোবাঁশু) একত্রিত করেছিলেন (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ১০৬-৭)। এই বাহিনীটি একটি শক্তিশালী অ্যারে ছিল, বিশেষত যখন তারা অন্যান্য শুগো প্রভুদের অবদানের দ্বারা বৃদ্ধি পেয়েছিল। শোগুনাল সেনাবাহিনীর গুরুত্ব পরিমাণের বাইরে চলে যায়। তবে এই বাহিনীটি যা প্রতিনিধিত্ব করে তার উপর আরও আঘাত করে: কোকুজিন সামুরাই দ্বারা গঠিত তার নিজস্ব করদ রাজ্যগুলোর সাথে শোগুনকে সরাসরি সংযুক্ত করে একটি পৃথক বাহিনী। শোগুনাল সেনাবাহিনী শুগো বাহিনীর উপর নজরদারি হিসাবে কাজ করেছিল। দ্বিতীয় অধ্যায়ে আমরা দেখেছি, প্রথম আশিকাগা শোগুন, তাকাউজি, সামুরাই স্টুয়ার্ডদের সাথে এস্টেটের জমিতে আবদ্ধ করে তাদের সাথে সম্পর্ক তৈরি করেছিল। প্রারম্ভিক মুরোমাচি সময়কালে, শোগুনের কমান্ডের অধীনে এই পৃথক করদ রাজ্য শ্রেণিবিন্যাস শুগো শক্তির উপর একটি গুরুত্বপূর্ণ চেক ছিল। আমরা দেখব এই পূর্ববর্তী সেনাবাহিনী যোশিমিতসুর শোগুনাল সেনাবাহিনী থেকে কীভাবে আলাদা ছিল।
শোগুনাল সেনাবাহিনীর দুটি উপাদান ছিল: শোগুনাল দেহরক্ষী (শিনইগুন) আশিকাগা শাখা পরিবারের সদস্য, শুগো আত্মীয় এবং শুগো শাখার পরিবারের সদস্য, শাসক কর্মকর্তাদের অন্যান্য পুত্র ও ভাই এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণভাবে, শক্তিশালী কোকুজিন নিয়ে গঠিত। সংখ্যায় (বড়জোর সাড়ে তিনশো পুরুষ), এই দলটি একটি সুসংহত এবং অনুগত সংস্থা ছিল, যে কোনও মূল্যে শোগুনের ব্যক্তিকে রক্ষা করতে প্রস্তুত ছিল (আর্নেসেন ১৯৮৫: ১০২)। এই ছোট্ট ব্যান্ডের চারপাশে শোগুনের বেশ কয়েকটি প্রত্যক্ষ করদ রাজ্য ছিল যা ১৩৩৬ সালে এর উত্সটি সন্ধান করেছিল, যখন শোগুন তাকাউজি অনেক সামুরাইকে বাড়ির করদ রাজ্য হিসাবে ঘিরে ফেলেছিল যারা সম্ভবত রিজার্ভ সেনাবাহিনী হিসাবে ব্যবহৃত হয়েছিল (গে ১৯৮৬: ৯৫-৬); শোগুনাল দেহরক্ষীর সদস্যদের সাথে সংযুক্ত বৃহত্তর সংখ্যক পরোক্ষ করদ রাজ্য সম্ভবত যোশিমিতসুর অধীনে শোগুনাল সেনাবাহিনীর বেশিরভাগ অংশ তৈরি করেছিল। এই শেষ পয়েন্টটি আর্নেসেন দ্বারা ভালভাবে চিত্রিত হয়েছে, যিনি গণনা করেছিলেন যে শোগুনাল দেহরক্ষীতে সরাসরি করদ রাজ্যের সংখ্যা ষোড়শ শতাব্দীর শেষের দিকে হোজো বংশের অধীনে তালিকাভুক্ত প্রত্যক্ষ করদ রাজ্যের সংখ্যা ষাট থেকে সত্তর শতাংশ ছিল (১৯৮৫: ১২৬)। এবং যদি প্রয়াত হোজো ওডাওয়ারা অভিযানে পঞ্চাশ হাজার সৈন্য মাঠে নামাতে সক্ষম হত। তবে সাড়ে তিনশো শোগুনাল দেহরক্ষী সহজেই তাদের নিজস্ব করদ রাজ্যগুলোর একত্রিত করতে পারত যা গ্রসবার্গ দাবি করেছেন যে তিন হাজার সৈন্য নিয়ে এসেছিল যা গ্রসবার্গ দাবি করেছিলেন যে ১৩৯১ এর মেইটোকু রাইজিং (১৯৮১: ১০৭)। শোগুনাল দেহরক্ষীর সৃষ্টি এবং অন্যান্য শোগুনাল করদ রাজ্যগুলোর উপর এই গোষ্ঠীর কেন্দ্রীয় অবস্থানই যোশিমিতসুর শোগুনাল সেনাবাহিনীকে তাকাউজির শোগুনাল করদ রাজ্য থেকে পৃথক করে। নতুন শোগুনাল সেনাবাহিনীর সাথে একটি শক্ত সংগঠন এবং এসপ্রিট ডি কর্পস আবির্ভূত হয়েছিল।
=== শক্তিশালী শুগোকে পরাজিত করতে শুগো জোটের উসকো ===
তবে যুদ্ধের ময়দানে কানরেই শ্রেণির শুগো প্রভুদের সাথে দেখা করতে এবং পরাজিত করার জন্য একা শোগুনাল সেনাবাহিনী পর্যাপ্ত ছিল না। তবে যোশিমিতসু যে ধরণের যুদ্ধ অনুশীলন করেছিলেন তার জন্য পুরোপুরি উপযুক্ত ছিল: একজন শুগো প্রভুকে পরিবারের সদস্যের বিরুদ্ধে এবং অন্যান্য শুগো প্রভুদের বিরুদ্ধে দাঁড় করানো। পূর্ববর্তী শোগুনের অধীনে উত্থিত নতুন শোগুনাল আধিপত্য, যোশিয়াকিরা, যোশিমিতসুর রাজনীতিতে আধিপত্য বিস্তার করতে এসেছিল। শোগুনাল প্রতিপত্তি অনানুষ্ঠানিকভাবে নির্দেশ দিয়েছিল যে কোনও একক শুগো প্রভু শোগুনের ক্রোধের শিকার না হয়ে ক্ষমতার একটি নির্দিষ্ট স্তর অতিক্রম করবেন না। এটি শুগো প্রভুদের নিজেদের স্বার্থেই ছিল যে তাদের নিজস্ব সহকর্মীদের কেউই বাকিদের উপর খুব বেশি শক্তিশালী এবং প্রভাবশালী হয়ে উঠবে না (ভার্লি ১৯৬৭: ৬৩-৬৪)।
এই নীতি অনুসরণ করে ১৩৮৯ সালে যোশিমিতসু মিনো, আইসে এবং ওওয়ারি প্রদেশের শুগো প্রভু টোকি ইয়াসুয়ুকিকে পরবর্তী প্রদেশটি এক আত্মীয়ের কাছে ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। ইয়াসুয়ুকি প্রত্যাখ্যান করেছিলেন এবং যোশিমিতসু ইয়াসুয়ুকির চাচাতো ভাই ইয়োরিমাসুকে তাকে আক্রমণ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। তিন বছর পরে ইয়াসুয়ুকি পরাজিত হন এবং ১৩৯১ সালে মিনো প্রদেশটি টোকি ইয়োরিমাসুকে ছেড়ে দেন (পাপিনোট ১৯৭২: ৬৫৯)। ইয়োশিমিতসুর কাছে যে প্রদেশটি ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল তা মিনো বা ওওয়ারি ছিল কিনা তা বিবেচ্য ছিল না যতক্ষণ না টোকি ইয়াসুয়ুকি কেন্দ্রীয় প্রদেশগুলোতে তার কিছু ক্ষমতা ছিনিয়ে নিয়েছিল।
১৩৯১ সালে মেইতোকু রাইজিং (রান) এর আগে, ইয়ামানা পরিবারের পশ্চিম ও মধ্য জাপানের এগারোটি প্রদেশ ছিল। এটি তাদেরকে দেশের সবচেয়ে শক্তিশালী শুগো পরিবারে পরিণত করেছিল। যোশিমিতসু তাদের আক্রমণ করার জন্য একটি অজুহাত খুঁজছিলেন। যখন ইয়ামানা মিতসুয়ুকি (যিনি ইজুমো, তাম্বা, হোকি এবং ওকি প্রদেশগুলোর উপর শুগো ছিলেন) ইজুমোতে রাজকীয় পরিবারের কিছু সম্পত্তি দখল করেছিলেন, যোশিমিতসু মিতসুয়ুকির বিরুদ্ধে অভিযানের পরিকল্পনা করার জন্য প্রাক্তন-কানরেই হোসোকাওয়া ইয়োরিয়ুকিকে স্মরণ করেছিলেন (পাপিনোট ১৯৭২: ৭৪৪)। ইয়ামানা শুগো প্রভু মিতসুয়ুকি এবং উজিকিও কিয়োতো আক্রমণ করেছিলেন, কিন্তু ওউচি যোশিহিরোর বাহিনীর সাথে কনসার্টে শোগুনাল সেনাবাহিনীর কাছে মারাত্মকভাবে পরাজিত হয়েছিলেন (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ৩০,১০৭; গ্রসবার্গ ১৯৮১: ৩০,১০৭; গ্রসবার্গ ১৯৮১: ৩০,১০৭)। আর্নেসেন ১৯৭৯: ৮২)। শোগুনের বাহিনী গঠিত অন্যান্য শুগো দলগুলোর প্রত্যেকের সংখ্যা তিন শতাধিক ঘোড়সওয়ারের বেশি ছিল না (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ১০৭)। অভিযানের পর ইয়ামানাকে কেবল দুটি প্রদেশ বরাদ্দ করা হয়েছিল, তাজিমা এবং হকি, এবং বিদ্রোহের নেতাদের হত্যা করা হয়েছিল, যুদ্ধে উজিকিও এবং ১৩৯৫ সালে হত্যার মাধ্যমে মিতসুইউকি (পাপিনোট ১৯৭২: ৭৪৪)। ১৩৯৯ সালে এক শুগো প্রভুর বিরুদ্ধে আরেক শুগো লর্ডের এই দাঁড় তুঙ্গে ওঠে। হাস্যকরভাবে, এবার লক্ষ্যবস্তু ছিল ওউচি ইয়োশিহিরো, যিনি ইয়ামানার বিরুদ্ধে প্রচারণায় শাসকদের ভালভাবে সেবা করেছিলেন। যোশিহিরোকে ১৩৯৭ সালে শোনি আক্রমণ করার আদেশ দেওয়া হয়েছিল যা তিনি করেছিলেন, প্রক্রিয়াটিতে তার ভাইকে হারিয়েছিলেন। পরে তিনি যোশিমিতসুর বাইজেন্টাইন দ্বিচারিতা সম্পর্কে শিখেছিলেন: শোনিকেও ওচি আক্রমণ করার আদেশ দেওয়া হয়েছিল। এই দ্বিচারিতায় ক্ষুব্ধ হয়ে এবং শোগুন যখন তাকে কিয়োতোতে ডেকে পাঠায় তখন তার জীবনের ভয়ে তিনি অবাধ্য হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ৩২)। অবাক হওয়ার কিছু নেই যে, শাসকগোষ্ঠী তাকে শত্রু ঘোষণা করেছিল। এ সাকাইয়ের যুদ্ধ, যোশিমিতসু পাঁচটি শুগো প্রভুর বাহিনী, হোসোকাওয়া, আকামাতসু, কিয়োগোকু, শিবা এবং হাতাকিয়ামার বাহিনী সহ শহরে আগুন লাগিয়ে যোশিহিরোর প্রতিরক্ষামূলক কাজগুলোকে অভিভূত করেছিল (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ৩৩; গ্রসবার্গ ১৯৮১: ৩৩)। সানসোম ১৯৬১: ১৪৯)। যোশিমিতসুর নেতৃত্বে মিত্র বাহিনী ওচির ৫,০০০ যোদ্ধার বিপরীতে ৩০,০০০ যোদ্ধা ছিল: যোশিহিরো কেবল যুদ্ধে অভিভূত হয়েছিলেন যেখানে তিনি আত্মহত্যা করেছিলেন (আর্নেসেন ১৯৭৯: ৮২,৮৬)। এই পূর্ববর্তী প্রতিটি উদাহরণ যেমন ব্যাখ্যা করে, শোগুনাল আধিপত্য খুব কার্যকর হয়ে ওঠে। এটি শুগো প্রভুদের সহকর্মীদের আক্রমণ ও ধ্বংস করে বিভক্ত করার জন্য ব্যবহৃত হয়েছিল। শোগুনাল আধিপত্য শোগুনাল সেনাবাহিনীর সাথে তাদের বাহিনীকে একত্রিত করতে শুগো প্রভুদের সহযোগিতা ছাড়া সফল হত না। তবে শোগুনাল সেনাবাহিনী এবং শাসকগোষ্ঠীর অন্যান্য ব্যয় নির্বাহের জন্য অর্থ না থাকলে এই জবরদস্তিমূলক নীতি অকল্পনীয় ছিল।
=== রাজস্ব ===
চতুর্দশ এবং পঞ্চদশ শতাব্দীর শেষের দিকে কিয়োতো অর্থনৈতিক কার্যকলাপের জন্য একটি উজ্জ্বল কেন্দ্র ছিল। শোগুন যোশিমিতসুর অধীনে উদ্ভূত বাধ্যতামূলক আবাসিক নীতির সাথে, শুগো প্রভুরা তাদের করদ রাজ্য এবং চাকরদের সাথে শহরের বিশিষ্ট জনগোষ্ঠীতে যুক্ত হয়েছিল যার মধ্যে অভিজাত, রাজকীয় দরবার এবং মুরোমাচি সরকার অন্তর্ভুক্ত ছিল। এটি বিভিন্ন পণ্য ও পরিষেবাদির জন্য একটি বিশাল বাজারে অনুবাদ করেছিল যা শহরের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে উত্সাহিত করেছিল। রাজধানীতে বসবাসকারী শোগুন এবং শুগো প্রভু উভয়ের জন্যই এই বৃদ্ধি গুরুত্বপূর্ণ ছিল: তারা ধারাবাহিকভাবে মহাজনদের সম্পদ (সাকায়া-দোসো) ব্যবহার করেছিল। শোগুন এমনকি তাদের শহরে কর আদায়কারী হিসাবে নিয়োগ করেছিল (কাওয়াই ১৯৭৭: ৭১; গ্রসবার্গ ১৯৮১: ৩৭,৭৮-৮০)। পূর্ববর্তী কামাকুরা শাসন থেকে মুরোমাচি শাসনকে এত আলাদা করে তুলেছিল তার আয়ের ভিত্তি। এর বেশিরভাগ রাজস্ব তার জমি বেস ছাড়াও বাণিজ্যিক কর থেকে এসেছিল।
প্রশাসন বোর্ড (ম্যান্ডোকোরো) মুরোমাচি শাসনের রাজস্ব সম্পর্কিত বিষয়গুলোর জন্য ক্লিয়ারিং হাউস হিসাবে ব্যবহৃত হত। এটি প্রধান আমলাতান্ত্রিক অঙ্গ ছিল যা করের উদ্দেশ্যে শহরের বিভিন্ন বাণিজ্যিক গোষ্ঠীর সাথে শাসনকে সংযুক্ত করেছিল। ১৩৯৩ সালে শাসন সরাসরি মহাজনদের উপর কর আরোপের অধিকারকে বৈধ করে (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ৭৮,৯৫-৬)। কিয়োতোতে মূল্যায়ন করা বাণিজ্যিক করগুলো নতুন নগর ভিত্তিক মুরোমাচি শাসনের ভিত্তি হয়ে ওঠে এবং সিদ্ধান্তমূলকভাবে শাসনব্যবস্থার প্রকৃতিকে কেবলমাত্র জমিদার সম্পত্তির উপর ভিত্তি করে একটি শাসনব্যবস্থায় পরিবর্তন করে আংশিকভাবে বাণিজ্য ভিত্তিক একটি শাসনব্যবস্থায় পরিণত করে।
ঐতিহ্যবাহী কৃষিভিত্তিক রাজস্ব তিনটি প্রধান উৎস থেকে আসত: শোগুনাল এস্টেট থেকে, শোগুনাল সামন্ত থেকে এবং শুগো প্রভুদের বিরুদ্ধে নির্ধারিত কর থেকে। আশিকাগা শোগুনদের অবতরণ ঘাঁটি তাদের উত্তরসূরিদের তুলনায় নগণ্য ছিল, টোকুগাওয়া; তবে কিয়োতো এবং কান্টো অঞ্চলের মধ্যে প্রায় দুই শতাধিক শোগুনাল এস্টেট (গরিওশো) ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল এবং এই এস্টেটগুলো থেকে উত্তোলিত রাজস্ব উল্লেখযোগ্য ছিল (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ৭০-৩)। তদুপরি, শোগুনাল এস্টেট এবং শোগুনাল সেনাবাহিনীর মধ্যে সংযোগ নির্ধারক ছিল: সেনাবাহিনীতে দায়িত্ব পালনকারী কিছু পুরুষ শোগুনের ব্যক্তিগত সম্পত্তির পরিচালকও ছিলেন (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ১১২)। তদুপরি, অনেক স্থানীয় সামুরাই সরাসরি শাসনকে (কিয়োসাই) ভূমি কর প্রদান করেছিল যা তারা হাউস করদ রাজ্য (গোকেনিন) হিসাবে উপভোগ করেছিল, প্রক্রিয়াটিতে শুগো ট্যাক্স সংগ্রহকারীদের কাছ থেকে টিকা দেওয়া হয়েছিল (গ্রসবার্গ ১৯৮১; গ্রসবার্গ ১৯৮১)। উপরন্তু, শুগো প্রভুদের সরাসরি কর আদায় করা হয়েছিল (শুগো শুসেন) তারা কতগুলো প্রদেশ পরিচালনা করেছিল সে অনুসারে। যখনই কোনও বিল্ডিং তৈরি বা ঠিক করার জন্য ছিল এবং যখন শোগুনের বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য নগদ অর্থের প্রয়োজন হয়েছিল তখন শাসকরা এটি মূল্যায়ন করেছিল (কাওয়াই ১৯৭৭: ৭১; কাওয়াই ১৯৭৭: ৭১)। গ্রসবার্গ ১৯৮১: ৭৪)। কিয়োতো এবং ইয়ামাশিরো প্রদেশের উদীয়মান বাজার অর্থনীতির কারণে মুরোমাচি শাসনের রাজস্বের উত্সগুলো কামাকুরা শাসনের চেয়ে অনেক বেশি পরিমাণে বৈচিত্র্যময় ছিল। এটি মহাজনদের কাছ থেকে বাণিজ্যিক রাজস্ব আদায় হিসাবে অভিনব আকারে এসেছিল (সাকায়া দোসো): মুরোমাচি আমলাতন্ত্রের ক্ষমতা কাঠামো কার্যকরভাবে কিয়োতো শহরটি দখল করার পরে একটি কর মূল্যায়ন করা হয়েছিল।
== দক্ষিণ দরবারের সম্রাট ==
* সম্রাট গো-দাইগো「後醍醐天皇」(১২৮৮–১৩৩৯, রাজত্বকাল ১৩১৮–১৩৩৯)
* সম্রাট গো-মুরাকামি「後村上天皇」(১৩২৮–১৩৬৮, রাজত্বকাল ১৩৩৯–১৩৬৮))
* সম্রাট চোকেই「長慶天皇」((১৩৪৩–১৩৯৪, রাজত্বকাল ১৩৬৮-১৩৮৩)
* সম্রাট গো-কামেয়ামা「後亀山天皇」(১৩৪৭-১৪২৪, রাজত্বকাল ১৩৮৩-১৩৯২)
== উত্তর দরবারের সম্রাট ==
* উত্তর আশিকাগা দাবিদার ১: সম্রাট কোগন「光厳天皇」(১৩১৩–১৩৬৪, রাজত্বকাল ১৩৩১–১৩৩৩)
* উত্তর আশিকাগা দাবিদার ২: সম্রাট কোমিয়ো「光明天皇」(১৩২২–১৩৮০, রাজত্বকাল ১৩৩৬–১৩৪৮)
* উত্তর আশিকাগা দাবিদার ৩: সম্রাট সুকো「崇光天皇」(১৩৩৪–১৩৯৮, রাজত্বকাল ১৩৪৮–১৩৫১)
* অন্তর্বর্তীকাল, নভেম্বর ২৬, ১৩৫১ থেকে ২৫ সেপ্টেম্বর, ১৩৫২ পর্যন্ত
* উত্তর আশিকাগা দাবিদার ৪: সম্রাট গো-কোগন「後光厳天皇」(১৩৩৮–১৩৭৪, রাজত্বকাল ১৩৫২–১৩৭১)
* উত্তর আশিকাগা দাবিদার ৫: সম্রাট গো-এন'ইউ「後円融天皇」(১৩৫৯–১৩৯৩, রাজত্বকাল ১৩৭১–১৩৮২)
0uy6pksx6zkpsgh58jfcwywa0cio1y6
84430
84426
2025-06-16T17:54:17Z
NusJaS
8394
/* প্রভাব */
84430
wikitext
text/x-wiki
নানবোকু-চো যুগ (南北朝時代, নানবোকু-চো জিদাই) ১৩৩৬ সাল থেকে ১৩৯২ সাল পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। এটি মুরোমাচি যুগের একটি অংশ ছিল।
এই সময়ে দুটি সাম্রাজ্যীয় দরবার ছিল। এরমধ্যে কিয়োতোতে আশিকাগা তাকাউজি প্রতিষ্ঠা করেছিল উত্তর সাম্রাজ্যীয় দরবার; এবং সম্রাট গো-দাইগো ইয়োশিনোতে প্রতিষ্ঠা করেছিল ক্ষিণ সাম্রাজ্যীয় দরবার।
মতাদর্শগতভাবে, এই দুই দরবার প্রায় পঞ্চাশ বছর ধরে সংঘর্ষে লিপ্ত ছিল। তবে ১৩৯২ সালে দক্ষিণ দরবার উত্তর দরবারের কাছে আত্মসমর্পণ করে। বাস্তবে উত্তর রাজবংশ ছিল আশিকাগা শোগুনদের নিয়ন্ত্রণাধীন এবং তাদের বাস্তবিক স্বাধীনতা খুবই সীমিত ছিল।
উনবিংশ শতাব্দী থেকে শুরু করে দক্ষিণ দরবারের সম্রাটদের জাপানের বৈধ সম্রাট হিসেবে গণ্য করা হয়। এর পেছনে কিছু কারণ ছিল—দক্ষিণ দরবারের হাতে জাপানি সম্রাজ্ঞী রাজমুকুট ও প্রতীকগুলোর নিয়ন্ত্রণ, এবং কিতাবাতাকে চিকাফুসার লেখা ''জিন্নো শোতোকি'' ছিল। এটি তাদের পরাজয়ের পরেও দক্ষিণ দরবারের বৈধতাকে সমর্থন করেছিল।
এই সময়কালের ঘটনাগুলোর প্রভাব এখনও আধুনিক জাপানের প্রচলিত দৃষ্টিভঙ্গিতে সম্রাট ব্যবস্থা (তেননো সেইকা) প্রভাবশালী হতে থাকে। রাষ্ট্রীয় শিন্তো ধর্মের প্রভাবে ১৯১১ সালের ৩ মার্চ জারিকৃত এক সাম্রাজ্যীয় ডিক্রিতে এই সময়ের বৈধ রাজাদের দক্ষিণ দরবারের সদস্য বলেই ঘোষণা করা হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর, কুমাজাওয়া হিরোমিচি থেকে শুরু করে একদল দাবিদার নিজেদের দক্ষিণ দরবার থেকে বংশোদ্ভূত দাবি করে এবং উত্তর দরবার থেকে আসা রাজবংশের আধুনিক সাম্রাজ্যীয় ধারার বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে।
১৩৩৩ সালে কামাকুরা শোগুনাতের পতন এবং ১৩৩৬ সালে কেম্মু পুনর্গঠনের ব্যর্থতা নতুন শাসনব্যবস্থার বৈধতা নিয়ে সংকট তৈরি করে। পাশাপাশি, অভিজাত এবং যোদ্ধাদের আয়ের ভিত্তি জমিদারি ব্যবস্থায় (শোয়েন) কাঠামোগত পরিবর্তন সমাজের বিভিন্ন শ্রেণির অবস্থান পরিবর্তনে বড় ভূমিকা রাখে। নানবোকু-চো যুদ্ধের মধ্য দিয়ে যে মুরোমাচি শাসন ব্যবস্থা উদ্ভূত হয়, তা যোদ্ধা শ্রেণির অর্থনৈতিক ভিত্তিকে প্রসারিত করে। তবে অভিজাত মালিকদের ক্ষমতা হ্রাস করে। এটি কামাকুরা বাকুফুর সময় থেকেই শুরু হয়েছিল।
== কামাকুরা বাকুফুর পতন ==
গৃহযুদ্ধের সূচনায় অবদান রাখা প্রধান কারণ ছিল—হোজো পরিবার ও অন্যান্য যোদ্ধা গোষ্ঠীর মধ্যে ক্রমবর্ধমান বিরোধ। এটি ১২৭৪ এবং ১২৮১ সালের মঙ্গোল আক্রমণের পর থেকে বৃদ্ধি পায়। এছাড়াও আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ ছিল কেম্মু পুনর্গঠনের ব্যর্থতা। এটি সম্রাট-অনুগামী ও আশিকাগা গোষ্ঠীর সমর্থকদের মধ্যে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করে।
১৩শ শতাব্দীর শেষদিকে হোজো-নেতৃত্বাধীন কামাকুরা শাসনের প্রতি যোদ্ধাদের মধ্যে অসন্তোষ বৃদ্ধি পায়। এই অসন্তোষের মূল কারণ ছিল, হোজোদের অন্যান্য যোদ্ধা পরিবারগুলোর ওপর ক্রমবর্ধমান আধিপত্য বিস্তার। বিশেষ করে হোজো তোকিমুনের (১২৬৮–১২৮৪) শাসনকালে মঙ্গোল সংকটের সময় এই কেন্দ্রীয়করণ আরও প্রকট হয়। সে সময়ে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটে: হোজো পরিবারে রাজ্য পরিষদে নিয়োগ বৃদ্ধি পায়; হোজোদের ব্যক্তিগত পারিবারিক পরিষদই প্রধান সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী সংস্থা হয়ে ওঠে; এবং হোজোর সরাসরি অধীনস্থ করদ রাজ্যগুলো ক্রমবর্ধমানভাবে শুগো (প্রাদেশিক গভর্নর) হিসেবে উন্নীত করা হয়। এর ফলে তারা কেবলমাত্র নিজেদের পরিবারের সদস্য ও সরাসরি অধীনস্ত করদ রাজ্যগুলোর অন্তর্ভুক্ত করার ফলে বৃহত্তর ভিত্তির সমর্থন হারায়। ১৩৩১ সালে হোজোর বিরুদ্ধে এক জোট গঠিত হলে তার শাসনব্যবস্থার পতন ঘটাতে মাত্র দুই বছর সময় লেগেছিল।
ত্রয়োদশ শতাব্দীর শেষের দিকে যোদ্ধাদের মধ্যে হোজো-নেতৃত্বাধীন কামাকুরা শাসনের প্রতি অসন্তোষ দেখা দেয়। এই বিরক্তি শাসনের মধ্যে অন্যান্য যোদ্ধা পরিবারের উপর হোজোর প্রভাবের কারণে ঘটেছিল। হোজো টোকিমুনের রাজত্বকালে (১২৬৮-১২৮৪ খ্রিষ্টাব্দ) ক্ষমতার এই কেন্দ্রীকরণের পেছনে মঙ্গোল আক্রমণ মূল কারণ ছিল। সঙ্কটের সময়, তিনটি জিনিস ঘটেছিল: হোজো পরিবারের কাউন্সিল অফ স্টেটে নিয়োগ বেড়েছে; হোজো প্রাইভেট ফ্যামিলি কাউন্সিল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী সংস্থা হয়ে ওঠে। হোজোর সরাসরি শুগো পোস্টে উন্নীত হয়েছিল। তারা মূলত সমর্থনের বিস্তৃত ভিত্তির ব্যয়ে কেবল হোজো পরিবারের সদস্য এবং সরাসরি অন্তর্ভুক্ত করে তাদের নির্বাচনী এলাকাগুলোকে সংকীর্ণ করেছিল। ১৩৩১ সালে যখন হোজোর বিরুদ্ধে একটি জোট গঠিত হয়,
তখন কৃষিভিত্তিক সমাজে সম্পদের মূল উৎস ছিল জমি, এবং মধ্যযুগীয় জাপানেও এর ব্যতিক্রম ছিল না। প্রকৃতপক্ষে, যোদ্ধা শ্রেণির মধ্যে বেশিরভাগ অসন্তোষের মূল কারণ ছিল জমি। মিনামোতো গোষ্ঠীর উত্থানের পর থেকে যুদ্ধজয়ের পুরস্কার হিসেবে ভূমি দান ছিল যোদ্ধাদের জন্য একটি স্বীকৃত প্রথা। কিন্তু মঙ্গোল আক্রমণ ছিল ব্যতিক্রম, কারণ এটি বিদেশী শত্রুর বিরুদ্ধে দেশরক্ষার যুদ্ধ ছিল, অন্য কোনও যোদ্ধা গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে নয়। ফলে বিদেশী শত্রুর পরাজয়ের পরে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার হিসেবে তুলে দেওয়ার মতো কোনও জমি ছিল না। এই পরিস্থিতি বিশেষভাবে কঠিন ছিল সেই যোদ্ধাদের জন্য, যারা বীরত্বের সাথে যুদ্ধ করেছিল এবং জমির জন্য হোজো শাসকদের কাছে আবেদন করেছিল। চতুর্দশ শতাব্দীর শুরুতেই এই অসন্তোষ নতুন যে কোনও শাসন ব্যবস্থার ওপর প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি করেছিল। এই শ্রেণিকে সন্তুষ্ট না করতে পারলে নতুন শাসনের স্থায়িত্ব ছিল অনিশ্চিত।
নানবোকু-চো যুদ্ধ ছিল একটি মতাদর্শগত লড়াই—একদিকে ছিল যারা সম্রাটের পুনঃস্থাপন চেয়েছিল, অন্যদিকে ছিল যারা কামাকুরা শাসনের আদলে একটি নতুন যোদ্ধা শাসন প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিল। যেন জাপানের ইতিহাসের পূর্ববর্তী হেইয়ান ও কামাকুরা যুগের মধ্যে মতাদর্শগত সংঘর্ষ ঘটছিল। কিতাবাতাকে চিকাফুসার মতো অভিজাত যোদ্ধারা বুঝতে পারতেন যে পুনর্গঠনে যোদ্ধাদের অংশগ্রহণ প্রয়োজন, তবে মতাদর্শগত স্তরে তাকাউজির সঙ্গে তার তীব্র মতভেদ ছিল, যা ভবিষ্যতের নেতৃত্বেও প্রভাব ফেলেছিল। যুদ্ধের মধ্যেই তৈরি হয় নতুন মুরোমাচি শাসন, যা কেম্মু পুনর্গঠনের ব্যর্থতার সরাসরি ফলাফল ছিল।
== অনুগত সম্পর্ক ও মুরোমাচি বাকুফুর উত্থান ==
উভয় পক্ষের মধ্যে তীব্র লড়াই প্রায় ত্রিশ বছর ধরে চলে। এর পর নতুন যোদ্ধা শাসনের সমর্থকরা আধিপত্য লাভ করে। আশিকাগা তাকাউজি ক্ষমতা কেন্দ্রীকরণের জন্য তিনটি মূল নীতি অনুসরণ করেন:
১. হানজেই বা অর্ধেক কর নীতি, যা জমিদার জমি ভাগ করে দেয়;
২. সামুরাই অনুগতদের (গোকেনিন) সঙ্গে অনুগত্য সম্পর্ক;
৩. শুগো প্রভুদের বাকুফু গভর্নর ও প্রাদেশিক সামন্ত হিসেবে ব্যবহার (এটি পরে বিস্তারিতভাবে আলোচিত)।
এই দুই কাঠামো—সামুরাই অনুগত্য ও শুগো নিয়ন্ত্রণ ১৩৫০-এর দশকে শাসন প্রতিষ্ঠার পর গড়ে ওঠে এবং শোগুনের ক্ষমতা নির্ধারণে মুখ্য ভূমিকা রাখে। প্রশাসনিক কাঠামোগুলো বোঝা কঠিন, কারণ কান্নো বিশৃঙ্খলার পর প্রাথমিক প্রশাসনে ব্যাপক পরিবর্তন আসে। এগুলোর অধিকাংশই কিয়োতো ও ইয়ামাশিরো প্রদেশেই সীমাবদ্ধ ছিল।
=== কামাকুরা থেকে মুরোমাচি পর্যন্ত জমিদারি (শোয়েন) ব্যবস্থার বিবর্তন ===
হানজেই অর্ধ কর নীতিটি সরাসরি ও তীব্র: এটি এস্টেট জমিতে সামুরাই আক্রমণের বৈধতা স্বীকৃতি দেওয়ার একটি কঠোর নীতি ছিল। কিন্তু একই সঙ্গে এস্টেট বা জমিদারি ব্যবস্থার অস্তিত্ব রক্ষা করার নিশ্চয়তা দিয়েছিল।
এস্টেট সিস্টেম কীভাবে পরিবর্তিত হয়েছিল তা পরীক্ষা করার জন্য আমাদের প্রথমে কামাকুরা আমলের দিকে তাকাতে হবে। সামুরাই স্টুয়ার্ড (জিতো) এবং কামাকুরা শাসনের (১১৮৫-১৩৩৩ খ্রিষ্টাব্দ) মধ্যে করদ সম্পর্ক মধ্যস্থতাকারী ছিল। কারণ তারা সামুরাই স্টুয়ার্ডকে (জিতো) এমন একটি অবস্থানে রেখেছিল যেখানে তিনি একই সাথে কামাকুরা এবং কিয়োতো উভয়ের কাছেই জবাবদিহি করেছিলেন। সামুরাই হিসাবে নির্বাচিত হয়ে তাকে একটি কল্পিত আত্মীয়তার বন্ধনে তার বাড়ির সদস্য হিসাবে শোগুনের সাথে সরাসরি করদ সম্পর্কের মধ্যে রাখা হয়েছিল। স্টুয়ার্ড হিসাবে সামুরাই একজন শোগুনাল হাউসম্যান (গোকেনিন) এবং বিশ্বস্ত করদ রাজা হয়েছিলেন। তিনি এমন একটি এস্টেটের পরিচালনার ভার পেয়েছিলেন, যা আইনত কিয়োতোতে একজন আভিজাত্যের মালিকানাধীন ছিল (ভার্লি ১৯৬৭: ২২-৫)। এখানেই কামাকুরা করদ সম্পর্কের মধ্যস্থতাকারী প্রকৃতি রয়েছে। কামাকুরায় যোদ্ধা শাসনের সামন্ত হিসাবে তিনি সামরিক পরিষেবা এবং বকেয়া আকারে শোগুনের কাছে জবাবদিহি করেছিলেন। তবে একজন অভিজাতের মালিকানাধীন এস্টেটের পরিচালক হিসাবে তাকে পরবর্তীকালে খাজনা দিতে হয়েছিল। আমরা প্রথমে কামাকুরা করদ রাজ্য হিসাবে সামুরাই স্টুয়ার্ডের প্রকৃতি পরীক্ষা করব এবং তারপরে আশিকাগা তাকাউজির অধীনে উদ্ভূত করদ বন্ধনগুলো পরীক্ষা করব।
কামাকুরা শাসন ব্যবস্থার স্থায়িত্ব শাসকদের প্রভাবশালী যোদ্ধাদের পরিচালনার অধিকার (জিতো শিকি) এবং অভিজাত মালিকের খাজনা ও জমির মালিকানার অধিকারের গ্যারান্টির উপর নির্ভর করেছিল। সামুরাই স্টুয়ার্ডদের সাথে করদ সম্পর্কের মাধ্যমে, নতুন যোদ্ধা শাসনকে পুরানো এস্টেট সিস্টেমে স্থাপন করা হয়েছিল। প্রক্রিয়াটিতে আপস্টার্ট যোদ্ধা এবং অভিজাতদের মধ্যে সুপ্ত থাকা দ্বন্দ্বমূলক প্রবণতাগুলোর সেতুবন্ধন সৃষ্টি করেছিল।
যেসব সামুরাই স্টুয়ার্ডদের শোগুন বা হোজো রিজেন্টদের সাথে সরাসরি করদ সম্পর্ক ছিল, তারা হাউজকিপার (গোকেনিন) নামেও পরিচিত ছিল। কামাকুরা গোকেনিনের ঐতিহ্য একটি মর্যাদাপূর্ণ ঐতিহ্য ছিল এবং মুরোমাচি যুগে যা ঘটেছিল তার নজির স্থাপন করেছিল। ইয়োরিতোমো এবং হোজো রিজেন্টরা কেবল তাদের নিজস্ব গোকেনিনদের নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে উদ্বিগ্ন ছিল। তারা সচেতনভাবে তাদের নিজস্ব করদ রাজ্যগুলোর জমি বিরোধের মামলা শোনার মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল এবং তাদের অনুসারীদের স্টুয়ার্ডশিপ অধিকারকে পুরস্কৃত করেছিল। এটি অন্যান্য গোষ্ঠীর অন্যান্য বিরোধগুলো নাগরিক প্রশাসন দ্বারা যত্ন নেওয়া যেতে দেয়। এই নজিরটি আশিকাগা শোগুনরা অনুসরণ করেছিল।; কারণ তারা মুরোমাচি আমলে শুগো প্রভুদের আক্রমণের বিরুদ্ধে তাদের দেশের করদ রাজ্যগুলোর স্বার্থ রক্ষার চেষ্টা করেছিল।
শুগোকে কেবল প্রদেশগুলোর প্রভু হিসাবে আরও ক্ষমতা দেওয়া হয়নি। তাকাউজি এস্টেট জমি বিভক্ত করার জন্য যে অর্ধ কর নীতি (হানজেই) ব্যবহার করেছিলেন তা সামুরাই যোদ্ধাদের মালিকানাধীন জায়গীরের সংখ্যা বহুগুণ বাড়িয়ে তুলেছিল। তবে তাকাউজি আরও এগিয়ে যেতে পারতেন যদি তিনি তাঁর বিশ্বস্ত জেনারেলদের পরামর্শ অনুসরণ করতেন। কো ভাইয়েরা সম্পত্তি পুরোপুরি সরিয়ে দিতে চেয়েছিলেন। এস্টেট সিস্টেমের পুনর্বিন্যাসে যোদ্ধাদের স্বার্থ প্রাধান্য পেয়েছিল। তবে মহৎ স্বার্থ তখনও সংরক্ষিত ছিল। এস্টেট সিস্টেম সংরক্ষণে সহায়তা করার ক্ষেত্রে, অর্ধেক করের পরিমাপ এমন একটি নীতি ছিল যা তখনও যোদ্ধার অধিকারের সাথে আভিজাত্যের অধিকারকে সংযুক্ত করতে সক্ষম হয়েছিল।
অর্ধ কর নীতি যুদ্ধের সময় সংগৃহীত সামরিক রেশন (হায়রোরিয়োশো) এর জন্য মনোনীত জরুরি কর হিসাবে শুরু হয়েছিল: মিনো, ওমি এবং ওওয়ারি প্রদেশের নির্দিষ্ট উপাসনালয়, সমাধি এবং এস্টেট জমি থেকে অর্ধেক আয় মুরোমাচি শাসনের সেনাবাহিনীকে সমর্থন করার জন্য নেওয়া হবে। ক্রমবর্ধমানভাবে, এটি পুনরায় ব্যাখ্যা করা হয়েছিল এবং তাকাউজি দ্বারা করদ রাজ্যগুলোর প্রয়োগের উদ্দেশ্যে অর্ধেক জমির স্থায়ী অধিগ্রহণ হিসাবে পরিবর্তন করা হয়েছিল। এটি ছিল পূর্ববর্তী অনুশীলন থেকে আমূল প্রস্থান। উপরে উল্লিখিত হিসাবে, কামাকুরা আমলে, বেশিরভাগ জমি, বিশেষত হোনশুর কেন্দ্রীয় ও পশ্চিম প্রদেশগুলোতে, অভিজাতদের মালিকানাধীন ছিল। তবে কামাকুরা হাউস করদ রাজ্যগুলোর দ্বারা স্টুয়ার্ডশিপ (জিতো শিকি) হিসাবে পরিচালিত হয়েছিল। এটি এস্টেট প্রতিষ্ঠানে একত্রে অভিজাতদের স্বার্থ এবং যোদ্ধাদের স্বার্থ উভয়কেই একত্রিত করেছিল। অর্ধ কর ব্যবস্থার আবির্ভাবের সাথে সাথে তাকাউজি সম্পত্তির অর্ধেক জমি মহৎ নিয়ন্ত্রণ থেকে সরিয়ে তার যোদ্ধাদের জায়গীরে দিচ্ছিলেন।
=== স্থানীয় সামুরাই (কোকুজিন) এর উত্থান ===
নানবোকু-চো দ্বন্দ্ব শুরু হলে করদ সম্পর্ক আরও গুরুতর হয়ে ওঠে। সামন্তদের আনুগত্য একটি বড় বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তুলনামূলকভাবে শান্তিপূর্ণ কামাকুরা সময়কালে, সামরিক দক্ষতাগুলো প্রিমিয়ামে রাখা হয়নি। তবে গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পরে এই মানদণ্ডটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে (ভর ১৯৮৯: ১১৩-৪,১১৭)। ১৩৩৬ পরবর্তী পরিবেশের করদ সম্পর্কগুলোতে একটি নতুন মধ্যস্থতাকারী বিবেচনা উদ্ভূত হয়েছিল: আনুগত্যের প্রয়োজন এবং প্রভু এবং করদ রাজ্যের মধ্যে একটি শক্ত বন্ধন। প্রতিদ্বন্দ্বীদের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তার ফলস্বরূপ শোগুন এবং তার করদ রাজ্যগুলোর মধ্যে দৃঢ় সম্পর্ক আবির্ভূত হয়েছিল। করদ সম্পর্ক হয় আশিকাগা দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল বা আশিকাগার প্রতি অনুগত উদীয়মান শুগো প্রভুদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত অন্য যোদ্ধা শ্রেণিবিন্যাসের কাছে সম্ভাব্য যোদ্ধা হারানোর ঝুঁকি ছিল এবং সবচেয়ে খারাপ প্রতিদ্বন্দ্বী সাম্রাজ্যবাদী জেনারেলদের দ্বারা। সুতরাং, সত্যিকার অর্থে, গৃহযুদ্ধের সময়কালে যোদ্ধা নিয়োগের মাধ্যমে সম্ভাব্য দ্বন্দ্ব দূর করতে করদ বন্ধন ব্যবহার করা হয়েছিল।
একই সময়ে সামুরাই এবং শোগুনের মধ্যে করদ বন্ধন শক্ত হয়েছিল, এই সম্পর্কগুলোর বৈধতা কঠোরভাবে পরীক্ষা করা হয়েছিল। এই আপাত বৈপরীত্যটি যৌক্তিকভাবে সামুরাই আনুগত্যের অনেক দাবির অস্তিত্ব দ্বারা ব্যাখ্যা করা হয়েছে যা উপস্থাপিত হয়েছিল: প্রতিদ্বন্দ্বী সাম্রাজ্যবাদী জেনারেল, শুগো প্রভু এবং এমনকি স্থানীয় সামুরাই জোটের প্রতি।
কয়েকটি উদাহরণ শোগুন আশিকাগা তাকাউজি এবং তার নতুন গোকেনিনদের মধ্যে করদ সম্পর্কের উত্থানকে চিত্রিত করবে। ১৩৩৬ সালে তাকাউজি কিউশুতে পশ্চাদপসরণ করার পরে আকি প্রদেশে আশিকাগা স্বার্থ রক্ষার দায়িত্ব পেলে কোবায়াকাওয়া পরিবার অনুগত করদ রাজ্য হয়ে ওঠে (আর্নেসেন ১৯৮৫: ১০৮)। আরেকটি আকি সামুরাই পরিবার মোরি বংশ, ১৩৩৬ সালে তাকাউজির করদ রাজ্য হয়ে ওঠে এবং কান্নো ঘটনার প্রাদুর্ভাব না হওয়া পর্যন্ত কো মোরোয়াসুর অধীনে দায়িত্ব পালন করে। ১৩৫০ এর দশকে মোরি তাকাউজি তাদায়োশি এবং তার দত্তক পুত্র তাদাফুয়ুর শত্রুদের পক্ষে ছিল এবং ১৩৬০ এর দশক পর্যন্ত তারা আবার শোগুনের করদ রাজ্য হিসাবে ফিরে আসেনি (আর্নেসেন ১৯৮৫: ১১৪-৫)। কাওয়াশিমা বংশ এবং কিয়োতোর নিকটবর্তী অন্যান্য যোদ্ধা পরিবারগুলোর সাথে করদ সম্পর্ক ১৩৩৬ সালের গ্রীষ্মে তাকাউজি রাজধানী পুনরায় দখলের অভিযানে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তাকাউজির স্বাক্ষর বহনকারী করদের শর্তাদি সম্পর্কিত একটি নথির কারণে কাওয়াশিমা মামলাটি যথেষ্ট আগ্রহের বিষয়: তারা কাওয়াশিমা এস্টেটের অর্ধেকেরও বেশি স্টুয়ার্ডশিপ অধিকারের (জিতো শিকি) জন্য সামরিক পরিষেবা বিনিময় করবে, বাকি অর্ধেকটি ভাড়া আকারে অভিজাত মালিকের দখলে রেখে দেবে।
=== কান্নো ঘটনা এবং ১৩৫০ এর দশকে দক্ষিণ দরবারের পুনরুত্থান ===
=== ঘটনাবলী ===
তাকাউজি নামমাত্র শোগুন ছিলেন। দশ বছরেরও বেশি সময় ধরে তাদায়োশি তার জায়গায় শাসন করেছিলেন। দুই ভাইয়ের মধ্যে সম্পর্ক অবশ্য "কান্নো ঘটনা" নামে একটি অত্যন্ত গুরুতর পর্বের মাধ্যমে ধ্বংস হয়েছিল। এটি এমন একটি ঘটনা যা কান্নো যুগ (১৩৫০-১৩৫১) থেকে নামকরণ করা হয়েছে। এই সময়েই দুই ভাইয়ের মধ্যে বিভেদের ঘটনাটি ঘটেছিল। এটি পুরো দেশের জন্য খুব গুরুতর পরিণতি বয়ে আনে। তাকাউজি কো নো মোরোনাওকে তার শিটসুজি বা ডেপুটি বানানোর ফলেই দুজনের মধ্যে ঝামেলা শুরু হয়েছিল। তাদায়োশি মোরোনাওকে পছন্দ করতেন না। তাই তাকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার অন্য প্রতিটি প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়ে তাকে হত্যা করার চেষ্টা করেছিলেন। তার এই ষড়যন্ত্র ফাঁস হয়ে যায়। ফলে ১৩৪৯ সালে তাদায়োশি মোরোনাও সরকার ত্যাগ করে মাথা ন্যাড়া হয়ে কেইশিন নামে বৌদ্ধ সন্ন্যাসী হতে বাধ্য হন। ১৩৫০ সালে তিনি বিদ্রোহ করে নিজের ভাইয়ের শত্রুদের সাথে যোগ দেন। সেই শত্রুরা ছিল দক্ষিণ দরবারের সমর্থক। সম্রাট গো-মুরাকামি তাকে তার সমস্ত সৈন্যের জেনারেল নিযুক্ত করেছিলেন। ১৩৫১ সালে তিনি তাকাউজিকে পরাজিত করে কিয়োতো দখল করেকামাকুরায় প্রবেশ করেন। একই বছর তিনি মিকেজে (সেৎসু প্রদেশ) কো ভাইদের বন্দী করে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেন। পরের বছর তার ভাগ্য ঘুরে যায়। তিনি সাত্তায়ামায় তাকাউজির কাছে পরাজিত হন। ভাইদের মধ্যে একটি পুনর্মিলন সংক্ষিপ্ত প্রমাণিত হয়েছিল। তাদায়োশি কামাকুরায় পালিয়ে যান, কিন্তু তাকাউজি সেখানে সেনাবাহিনী নিয়ে তাকে তাড়া করেন। তাইহেইকি অনুসারে ১৩৫২ সালের মার্চ মাসে আপাতদৃষ্টিতে দ্বিতীয় পুনর্মিলনের অল্প সময়ের মধ্যেই তাদায়োশি হঠাৎ বিষক্রিয়ায় মারা যান।
=== পটভূমি ===
মুরোমাচি শাসনকে বিভক্ত করে এমন চরম বিভাজনকারী কান্নো ঘটনা একীকরণকে সাময়িকভাবে আটকে রেখেছিল। যেহেতু এই ঘটনাটি আমলাতান্ত্রিক অন্তর্দ্বন্দ্বের ফলস্বরূপ ঘটেছে, তাই প্রথমে আমলাতান্ত্রিক অঙ্গগুলোর দিকে নজর দেওয়া দরকার, তারপরে দ্বন্দ্বটি কোথায় উত্থিত হয়েছিল তা পরীক্ষা করা দরকার।
প্রাথমিক শাসনের আমলাতান্ত্রিক অঙ্গগুলো আশিকাগা ভাইদের পৃথক এখতিয়ারের অধীনে ছিল। তাকাউজি ও তাদায়োশি একটি দ্বিখণ্ডিত প্রশাসন তৈরি করে। তাকাউজি হাউস করদ রাজ্যগুলোর নেতা ছিলেন এবং এভাবে বোর্ড অফ রিটেইনার্স (সামুরাই ডোকোরো) এবং পুরষ্কার অফিস (ওনশো-কাটা) নিয়ন্ত্রণ করেছিলেন, যখন তাদায়োশি শাসনের বিচারিক কার্যক্রমের উপর তদন্ত বোর্ড নিয়ন্ত্রণকারী আমলাতান্ত্রিক নেতা ছিলেন (সাতো ১৯৭৭: ৪৮; সাতো ১৯৭৭:৪৮)। গ্রসবার্গ ১৯৮১: ২১-২৪)।
রিটেইনার্স বোর্ড হাউস করদ রাজ্যগুলোর প্রতি শৃঙ্খলাবদ্ধ অঙ্গ হিসাবে ব্যবহৃত হয়েছিল: ব্রিগেন্ডেজ এবং অন্যান্য অপরাধের বিচার করা হয়েছিল (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ৮৮,১০৭)। পুরষ্কারের অফিসটি যোগ্য করদ রাজ্যগুলোর দাবি শুনতে এবং বন্দী করার জন্য ব্যবহৃত হয়েছিল। পুরষ্কারের অফিসটি নতুন যোদ্ধাদের তালিকাভুক্ত করতে ব্যবহৃত হয়েছিল যারা শাসনের সম্ভাব্য প্রতিপক্ষ ছিল। প্রধান বিচারিক অঙ্গ, কোডজুটরস বোর্ড, উত্তরাধিকারের সাথে জড়িত সমস্ত জমি বিরোধ মামলা এবং ঝগড়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ৮৮)। সমস্ত বিচারিক কাজগুলো একটি প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর মধ্যে আইনীভাবে দ্বন্দ্ব এবং বিরোধ নিষ্পত্তি করার জন্য ব্যবহৃত হয়। নতুন শাসনের জন্য আমলাদের (বুগিওনিন) পতনের আগে হোজো শাসনের দায়িত্ব পালনকারীদের পদমর্যাদা থেকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ৯০)। তারা মূল্যবান ছিল কারণ তারা পড়তে এবং লিখতে জানত, এমন একটি কাজ যা বেশিরভাগ যোদ্ধাদের নাগালের বাইরে।
১৩৫০ এর দশকে কান্নো ঘটনা এবং এর পরিণতি প্রাথমিক শাসনকে বিভক্ত এবং প্রায় ধ্বংস করে দিয়েছিল (সানসোম ১৯৬১: ৭৮-৯৫)। আপাতদৃষ্টিতে ঘটনাটি তাকাউজির ভাই আশিকাগা তাদায়োশির বিরুদ্ধে কো ভ্রাতৃদ্বয়, মোরোনাও এবং মোরোয়াসুর বিরুদ্ধে তাকাউজির সমর্থিত একটি উপদলীয় লড়াইয়ের মতো দেখায় (উইন্টারস্টিন ১৯৭৪: ২১৫; আর্নেসেন ১৯৭৯: ৫৩-৫৪)। দ্বন্দ্বটি এস্টেট সিস্টেম সম্পর্কে মতামতের পার্থক্য এবং এই ভিন্ন মতামতের পিছনে তাকাউজি ও তাদায়োশি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত বিভিন্ন আমলাতন্ত্রের দিকে ইঙ্গিত করা যেতে পারে। সামগ্রিকভাবে তাকাউজি ছিলেন উদ্ভাবক এবং তাদায়োশি রক্ষণশীলতার ভূমিকা পালন করেছিলেন। তিনি অতীতের নীতিগুলো সংরক্ষণ করতে চেয়েছিলেন। করদ রাজ্য ব্যান্ডের সামরিক নেতা হিসাবে তাঁর ক্ষমতায় তাকাউজি দুটি জিনিস করেছিলেন। এটি তাদায়োশির সাথে সাংঘর্ষিক ছিল: তিনি যুদ্ধক্ষেত্রের বীরত্বের পুরষ্কার হিসাবে শুগো পোস্টগুলোতে করদ রাজ্য নিয়োগ করেছিলেন। এর পাশাপাশি তিনি শোয়েন এস্টেটগুলো ভাগ করে দিয়েছিলেন। এর অর্ধেক তার করদ রাজ্যগুলোর ফিফ বা স্টুয়ার্ডশিপ হিসাবে দিয়েছিলেন। তাদায়োশি কেম্মু ফর্মুলারি খসড়া তৈরির মাধ্যমে এই নীতিগুলোর কঠোরভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। তিনি যুদ্ধক্ষেত্রের সেবার পুরষ্কার হিসাবে শুগোর নিয়োগের বিরোধিতা করেছিল। তিনি কোডজুটরস বোর্ডের নেতা হিসাবে তাঁর ক্ষমতায় এস্টেট জমিগুলোর যে কোনও ধরণের সরাসরি বিভাজনের বিরোধিতা করেছিলেন (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ২৩-৪)। তাকাউজি এবং তার ভাই তাদায়োশির নীতিগুলোর মধ্যে একটি স্পষ্ট বিভাজন ছিল।
দু'জন রাষ্ট্রপ্রধানের নীতি একে অপরের সাথে সাংঘর্ষিক হওয়ার ফলে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। এই ঘটনার পরের ঘটনাবলী সাক্ষ্য দেয়, শাসকগোষ্ঠী কতটা সমর্থন হারাতে শুরু করেছিল। আশিকাগা পরিবারের সদস্যদের মধ্যে গভীর বিভাজন বিরোধীদের শক্তিশালী করেছিল। মুরোমাচি শাসনের উভয় স্তম্ভ, তাকাউজি ও তাদায়োশি তাদের নিজস্ব এজেন্ডা চাপিয়ে দেওয়ার জন্য দক্ষিণ দরবারে টোকেন জমা দিয়েছিলেন: কো ভাইদের ধ্বংস করার ইচ্ছায় তাদায়োশি এবং অন্যদিকে তাদায়োশিকে পরাজিত করার আকাঙ্ক্ষায় তাকাউজি এটি করেন। হাস্যকরভাবে দক্ষিণ দরবার উভয়ের শত্রু হলেও এই দুই শাসক সদস্য একে অপরকে আক্রমণ করার ন্যায্যতা হিসাবে এটি ব্যবহার করেছিল।
=== প্রভাব ===
এই ঘটনার অন্যতম প্রধান প্রভাব ছিল দক্ষিণ দরবারের যুদ্ধের প্রচেষ্টাকে পুনরুজ্জীবিত করা। অনেকাংশে এই নতুন আক্রমণাত্মক মুরোমাচি শাসনের টার্নকোটদের দ্বারা সম্ভব হয়েছিল। কামাকুরায় তাকাউজির বিরুদ্ধে পরিচালিত ১৩৫২ সালের সাম্রাজ্যবাদী আক্রমণ তাদায়োশির প্রাক্তন অনুসারীদের বিপুল সংখ্যক দ্বারা সম্ভব হয়েছিল। তারা সাম্রাজ্যবাদী নেতা নিত্তা যোশিমুনের সমর্থক হয়েছিলেন। শুগো প্রভু ইয়ামানা টোকিউজির দলত্যাগের মাধ্যমে ১৩৫৩ সালে কিয়োতোর বিরুদ্ধে সাম্রাজ্যবাদী আক্রমণ সম্ভব হয়েছিল। তাদায়োশির দত্তক পুত্র আশিকাগা তাদাফুয়ু ছিলেন দলত্যাগের অসামান্য উদাহরণ: ১৩৫৩ এবং ১৩৫৪ সালে কিয়োতোর বিরুদ্ধে সাম্রাজ্যবাদী আক্রমণের সময় তিনি দক্ষিণ দরবারের পশ্চিমা সেনাবাহিনীর নেতা হয়েছিলেন।
=== শুগো প্রভুদের উত্থান ===
এই যুগের উত্থান-পতন বুঝতে হলে আমাদের তখন শোগুন-শুগো প্রভু সম্পর্কের উদাহরণের দিকে ফিরে যেতে হবে। নানবোকু-চো যুগের বৈশিষ্ট্যযুক্ত প্রতিযোগিতামূলক আনুগত্য বিভিন্ন স্তরে খেলা হয়েছিল। একবারে আমরা মোরির মতো স্থানীয় সামুরাই পরিবারগুলোর দলত্যাগ দেখতে পাই - ভয়াবহ বিভাজনকারী কান্নো ঘটনার সময় অস্বাভাবিক নয়। উচ্চতর স্তরে, শুগো প্রভুরা চতুর্দশ শতাব্দীর শেষার্ধ পর্যন্ত বিপজ্জনকভাবে স্বাধীন পদ্ধতিতে কাজ চালিয়ে যান।
আশিকাগা শোগুন তাকাউজি পশ্চিম ও মধ্য জাপানের বিভিন্ন প্রদেশে শাখা পরিবারের সদস্যদের শুগো প্রভু হিসাবে নিয়োগ করেছিলেন। শুগো গভর্নর হিসাবে কাজ করেছিলেন এবং শাসন কেন্দ্র এবং পেরিফেরির মধ্যে মধ্যস্থতার দায়িত্ব পালন করেছিলেন। স্থানীয় গভর্নর এবং তাদের নিজস্ব অধিকারে প্রভু হিসাবে, তারা প্রদেশগুলোতে শাসনের কর্তৃত্বের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন। তারা প্রদেশব্যাপী নিয়োগের কারণে সামুরাই হাউসম্যানের চেয়ে অনেক বেশি কর্তৃত্ব অর্জন করেছিল, একক এস্টেটে সীমাবদ্ধ ছিল না। এখানে আমরা মুরোমাচি যুগের প্রথম দিকে আশিকাগা শোগুনের সাথে তাদের সম্পর্কের দিকে নজর দেব।
শুগো নিয়োগের সাফল্য আত্মীয়তার বন্ধনের দিকে নয়, বরং অন্যান্য কারণের মাধ্যমে তারা শাসনের সাথে কতটা ভালভাবে আবদ্ধ ছিল তার উপর নির্ভর করে। কামাকুরা আমল থেকে যোদ্ধা পরিবারগুলো মস্তকপদ অধিকার (সোরিও) ব্যবহার করে চিহ্নিত করা হয়েছিল,খানে শাখা পরিবারগুলোর উপর নেতৃত্ব দেওয়া হয়েছিল মূল পরিবারের নেত্রী. যাইহোক, মস্তকপদ অধিকারগুলো অত্যন্ত অস্থির ছিল কারণ শাখা পরিবারগুলো প্রায়শই তাদের নিজস্ব স্বাধীনতা দাবি করেছিল, বিশেষত নতুন প্রজন্ম আত্মীয়তার বন্ধনকে হ্রাস করার জন্য আবির্ভূত হয়েছিল (মাস ১৯৮৯: ১১৯)।
সেদিনের প্রয়োজনীয়তাগুলো শুগো পদে নিযুক্ত ব্যক্তিদের দ্বারা সামরিক দক্ষতার সফল ব্যবহারের আহ্বান জানিয়েছিল। আশিকাগা শোগুন এবং স্থানীয় সামুরাইয়ের মধ্যে করদ সম্পর্কের মতো, শোগুন এবং শুগো প্রভুদের মধ্যে বন্ধন একই অর্থে মধ্যস্থতাকারী ছিল: প্রতিযোগিতামূলক আনুগত্যের জগতে, আশিকাগা শোগুনরা শুগো পোস্টগুলোতে যোদ্ধাদের নিয়োগ দিয়ে এই পুরুষদের নিজের আরও কাছাকাছি বেঁধে রাখার চেষ্টা করেছিল। সফল জেনারেলরা, যারা একই সাথে শাখা পরিবারের প্রধান ছিলেন যারা তাকাউজির বিদ্রোহের সাথে তাদের ভাগ্যে নিক্ষেপ করেছিলেন, তারাই প্রায়শই এই পদে পুরস্কৃত হন (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ২৩)। তাদের শাসকগোষ্ঠীর সাথে বেঁধে না রাখার মূল্য ছিল তাদের সমর্থন হারানো, এবং শাসন থেকে তাদের স্বাধীনতাকে উত্সাহিত করা।
শুগো পদে নিযুক্ত আশিকাগা শাখা পরিবারগুলোর মধ্যে হোসোকাওয়া, ইয়ামানা, ইমাগাওয়া, হাতাকেয়ামা, নিকি, কিরা, শিবা, ইশিদো এবং ইশিকি পরিবার অন্তর্ভুক্ত ছিল (পাপিনোট ১৯৭২: ২৭)। নির্দিষ্ট প্রদেশগুলোতে, আশিকাগা মূল শুগো পরিবারগুলোকে স্থানচ্যুত করতে ব্যর্থ হয়েছিল: কেন্দ্রীয় প্রদেশগুলোতে সাসাকি, তোগাশি, তাকেদা এবং ওগাসাওয়ারা এবং কিউশুতে শিমাজু, ওটোমো এবং শোনি (আর্নেসেন ১৯৭৯: ৬০)। মধ্য ও পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশগুলোতে প্রায় অর্ধেক নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত। সময় কান্নো ঘটনা, নতুন নিয়োগপ্রাপ্তদের সাথে আশিকাগা হেডশিপ (সোরিও) সম্পর্ক এই শুগোকে শাসনের প্রতি সরাসরি বিদ্রোহ থেকে মোটেও আটকাতে পারেনি। প্রকৃতপক্ষে, শুগো প্রভুদের তুলনায় এই সময়কালে শাসনের জবরদস্তিমূলক প্রতিষ্ঠানগুলোর শোচনীয়ভাবে অভাব ছিল।
শুগো প্রভুরা যা খুশি তা করতে বাধা দিয়েছিল তা হলো নিয়োগের ক্ষীণ যোগসূত্র, বিশেষত নতুন নিয়োগপ্রাপ্তরা যারা তাকাউজির সাথে আবির্ভূত হয়েছিল - শাসনের সাথে তাদের সংযোগ বজায় রাখার জন্য তাদের একটি স্বার্থান্বেষী স্বার্থ ছিল, যতক্ষণ না তারা তখনও প্রদেশগুলোতে তাদের ক্ষমতা তৈরি করতে পারেনি। যে প্রাদেশিক পরিবারগুলো কামাকুরা আমলে ক্ষমতা অর্জন করেছিল, যেমন সুও এবং নাগাতো প্রদেশের ওচি এবং সাতসুমা প্রদেশের শিমাজু, তারা তাদের নিজস্ব অধিকারে প্রভু ছিল এবং এইভাবে, শাসন এবং তাদের শুগো উপাধির উপর কম নির্ভরশীল ছিল।
১৩৭২ এর পর শুগো প্রভুদের মুরোমাচি শাসনের জন্য কর (তানসেন) সংগ্রহের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। এই করগুলো অভিজাত থেকে শুরু করে সামুরাই পর্যন্ত জমির মালিকদের প্রতিটি শ্রেণীর উপর আঘাত করে। মধ্যস্থতাকারী হিসাবে, শুগো প্রতিটি পৃথক জমির মালিকের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় করের পরিমাণ বাড়িয়ে লাভ করেছিল (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ৭৫)। এই তারিখের মধ্যে, তারা গভর্নর হিসাবে অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছিল এবং তাই তাদের একটি নতুন শাসন কেন্দ্রিক কর তদারকির অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।
=== শুগো সিভিল ফাংশন এবং শুগো উইকের ব্যবহার ===
যা ফোকাসে আসে তা হলো শুগো প্রভু দ্বারা সিভিল গভর্নরের অফিসের ধীরে ধীরে কিন্তু অবিচলিত দখল এবং সামন্ততান্ত্রিক বন্ধনকে কার্যকর করার জন্য এই অবস্থানের ব্যবহার। শুগো পূর্ববর্তী গভর্নরদের মতো তার ঐতিহ্যবাহী প্রশাসনিক দক্ষতার মাধ্যমে নয়, বরং নানবোকু-চো যুদ্ধের সময় এস্টেটের জমি দখলকারী সামুরাইয়ের সাথে করদের মধ্যস্থতাকারী সম্পর্কের মাধ্যমে এবং সরকারী জমিতে বসবাসকারী সামুরাইদের সাথে (কোকুগারিও) কার্যকর করতে সক্ষম হয়েছিল। শুগো প্রভুরা উভয়ই গভর্নর ছিলেন, মুরোমাচি শাসন কর্তৃক তাদের দেওয়া কিছু বৈধ দায়িত্ব ছিল এবং সামন্ত প্রভুরা সামন্তদের প্ররোচিত করার চেষ্টা করেছিলেন।
নানবোকু-চো যুদ্ধ অভিজাতদের প্রতি নির্দয় ছিল যাদের জমিগুলো পূর্ববর্তী সামুরাই স্টুয়ার্ডরা সরাসরি নিয়েছিল এবং অবৈধভাবে ব্যক্তিগত হোল্ডিংয়ে (চিগিও) রূপান্তরিত হয়েছিল। এই বৈপ্লবিক বিকাশ পরবর্তীকালে সংঘটিত এস্টেট ব্যবস্থার সম্পূর্ণ তরলকরণের অগ্রদূত ছিল। শুগো প্রভুরাও তাদের উপর সামুরাই চাপিয়ে তাদের নিয়ন্ত্রণাধীন প্রাক্তন এস্টেটগুলো জড়ো করে এই পুরো জমি দখলে অংশ নিয়েছিল (নাগাহারা ১৯৮২: ১২)। হাস্যকরভাবে, যুদ্ধের উচ্চতায় জমিতে সামুরাই দখলদারিত্ব দ্বারা সৃষ্ট এই আইনহীন পরিস্থিতি ক্ষুদ্র সামুরাই থেকে কোকুজিন পর্যন্ত সমস্ত জমিদার স্বার্থের জন্য সুরক্ষা সমস্যা সৃষ্টি করেছিল এবং স্থানীয় সামুরাইদের মধ্যে করদ আকারে শুগো প্রভুদের সাথে মধ্যস্থতাকারী সম্পর্ক অর্জনের জন্য আরও প্রেরণা সরবরাহ করেছিল। শুগোর সাথে নিজেকে বেঁধে রেখে, তারা প্রদেশের এমন এক ব্যক্তির সাথে নিজেকে মিত্রতা করতে সক্ষম হয়েছিল যিনি একরকম স্থানীয় সুরক্ষা সরবরাহ করতে পারেন।
শুগো লর্ড এবং কোকুজিনের মধ্যে করদ সম্পর্ক প্রায়শই এস্টেটগুলোতে শুগো চুক্তি (শুগো-উকে) নামে পরিচিত একটি ত্রিমুখী মধ্যস্থতাকারী টাই হয়: একজন অভিজাত মালিক রাজধানীতে বসবাসকারী মালিককে সরবরাহ করা গ্যারান্টিযুক্ত বছরের শেষের (নেঙ্গু) আয়ের বিনিময়ে শুগোকে তার এস্টেট পরিচালনার দায়িত্ব দিতেন। শুগো প্রভু তখন ম্যানেজার হিসাবে সেই এস্টেটগুলোতে করদ রাজ্য সামুরাই (হিকান) নিযুক্ত করেছিলেন (মিয়াগাওয়া ১৯৭৭: ৯২; মিয়াগাওয়া ১৯৭৭: ৯২)। নাগাহারা ১৯৮২: ১৪)। অনুমিতভাবে, শুগো চুক্তিগুলো শুগো প্রভু, সামুরাই কোকুজিন এবং আভিজাত্যের স্বার্থকে একত্রে বেঁধেছিল। তবে স্বার্থের সমতার ভিত্তিতে ছিল না। তারা সত্যই এস্টেটগুলোতে শুগো দখলের যন্ত্র ছিল। চুক্তির মধ্যস্থতাকারী প্রকৃতি সম্পর্কে কোনও সন্দেহ নেই। কারণ এটি তিনটি গোষ্ঠীর স্বার্থকে সংযুক্ত করেছিল। তবে এটি শুগো প্রভুর পক্ষে সবচেয়ে অনুকূল ছিল যিনি এই যন্ত্রটি স্থানীয় সামুরাই (কোকুজিন) এর সাথে করদের সম্পর্ক প্রসারিত করতে এবং একই সাথে আভিজাত্যের ব্যয়ে তার জমি বেস প্রসারিত করতে ব্যবহার করেছিলেন। শুগো চুক্তি (শুগো-উকে) ১৩৪০ এর দশকে আবির্ভূত হয়েছিল এবং ধীরে ধীরে ব্যাপক হয়ে ওঠে (উইন্টারস্টিন ১৯৭৪: ২১১)। এই চুক্তিটি কীভাবে পরিচালিত হয়েছিল তা দেখে, এটি স্পষ্ট যে এস্টেট সিস্টেম (শোয়েন) যোদ্ধাদের দ্বারা কতটা দখল করা হয়েছিল এবং তার পূর্ববর্তী জীবনের একটি কঙ্কালে পরিণত হয়েছিল। শুগো প্রভুরা সামরিক সেবার বিনিময়ে সামুরাইকে এস্টেটের পরিচালনা দিয়েছিলেন, কিন্তু আভিজাত্যকে এস্টেটের সমস্ত ক্ষমতা ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছিল, তিনি যেখানে থাকতেন সেখানে বছরের শেষের (নেঙ্গু) আয়ের অংশের জন্য অপেক্ষা করতে হ্রাস পেয়েছিলেন। অভিজাত তার নিজের আয়ের অংশের গ্যারান্টি দেওয়ার জন্য কর অধ্যক্ষ (নেঙ্গু দাইকান) নিয়োগ করেছিলেন। তবে তাকে নিয়োগের জন্য অত্যধিক পরিমাণ অর্থ প্রদান করতে হয়েছিল। কোকুজিন এবং শুগো প্রভু দ্বারা ইতিমধ্যে হ্রাস করা অভিজাত আয় আরও হ্রাস পেয়েছিল যখন ট্যাক্স ওভারসিয়ার তার অর্ধেক নিয়েছিল। মহৎ আয়ের এই হ্রাস শুগো এবং সামুরাই উভয়ের পক্ষ থেকে ধীরে ধীরে অর্থ প্রদান না করার ফলাফল ছিল; শেষ ব্যবস্থা হিসাবে, অভিজাতরা যোদ্ধাদের উপর চাপ দেওয়ার উপায় হিসাবে মহাজন (ডিওএসও) এবং আমলাদের (বুগিওনিন) ভাড়া করেছিল। তবে এই প্রতিকারটিও দাগযুক্ত ফলাফল তৈরি করেছিল কারণ ভাড়াটে হাতগুলো যোদ্ধাদের সাথে আলোচনা করতে হয়েছিল (নাগাহারা ১৯৮২: ১৬)।
=== শুগো এবং পাবলিক ল্যান্ডস (কোকুগারিও) ===
সম্প্রতি অবধি একটি বৃহত্তর অনুপস্থিত চিত্র হলো মুরোমাচি আমলে সরকারী জমিগুলোর ভাগ্য (কোকুগারিও) এবং তাদের উপর তাদের দখলদারিত্বে শুগো প্রভুদের ভূমিকা। হেইয়ান আমলে সরকারী জমি (কোকুগারিও) এস্টেটগুলোর ব্যক্তিগত জমি (শোয়েন) থেকে পৃথক ছিল। কারণ পরবর্তীকালে রাষ্ট্রীয় কর থেকে মুক্ত ছিল। বেসরকারী এস্টেটের উত্থানের আগে, একমাত্র ধরণের জমি ছিল পুরানো নাগরিক প্রশাসনের অধীনে রক্ষণাবেক্ষণ করা সরকারী জমি। হেইয়ান আমলে শোয়েন নামে পরিচিত বেসরকারী এস্টেটগুলোর উত্থানের সাথে সাথে সরকারী জমিগুলো কোনওভাবেই অদৃশ্য হয়ে যায়নি: বিশদভাবে, সরকারী জমিগুলো ব্যক্তিগত এস্টেট থেকে খুব কম আলাদা ছিল। দুটিরই মালিক ছিলেন অনুপস্থিত মালিকরা। তারা কেবল প্রশাসনের দিক থেকে পৃথক ছিল: বেসরকারী এস্টেটগুলো সরাসরি অভিজাত কর্মকর্তাদের দ্বারা পরিচালিত হত, অন্যদিকে, সরকারী জমিগুলো প্রাক্তনদের পক্ষে সিভিল গভর্নরদের (কোকুগা বা কোকুশি) দ্বারা পরিচালিত হত (আর্নেসেন ১৯৭৯: ৯৪)। কামাকুরা আমলে, সরকারী জমিগুলো বিভিন্ন জমির মালিকদের ব্যক্তিগত হোল্ডিং (চিগিও) হিসাবে মালিকানাধীন ছিল। এই জমির মালিকদের মধ্যে অভিজাত বাড়ি, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান এবং যোদ্ধা অন্তর্ভুক্ত ছিল। কান্তো এবং উত্তর-পূর্বের পুরো অঞ্চল যোদ্ধাদের দখলে ছিল এস্টেট ম্যানেজার হিসাবে নয়, ব্যক্তিগত হোল্ডিং হিসাবে (নাগাহারা ১৯৮২: ১৫): কান্টো প্রদেশগুলো কামাকুরা শাসনকে ব্যক্তিগত জমি (চিগিওকোকু) হিসাবে দেওয়া হয়েছিল। আশিকাগা শাসন এই জমিগুলো উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছিল এবং ভাগ্যক্রমে তাদের উপরে শুগো প্রভুদের রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল (আর্নেসেন ১৯৭৯: ৯৪)।
সিভিল গভর্নর অফিসের (কোকুশি) অন্যতম প্রধান কাজ ছিল প্রদেশগুলোতে ফৌজদারি বিচারের তদারকি এবং সরকারী জমির মধ্যে ব্যক্তিগত হোল্ডিংগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ (কোকুগারিও)। তবে কামাকুরা শাসনের আবির্ভাবের সাথে তার কার্যকারিতা পরিবর্তন হতে শুরু করে (হল ১৯৬৬: ২০২-০৩)। কামাকুরা কর্তৃক শুগো কনস্টেবল নিয়োগের সাথে সাথে প্রদেশগুলোর মধ্যে সমস্ত ফৌজদারি এখতিয়ার তার হাতে চলে যায়। তবে সিভিল গভর্নর (কোকুশি) সিভিল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (রিটসুরিও) মূল কর্মকর্তা হিসাবে রয়ে গেলেন, যিনি নিশ্চিত করেছিলেন যে ব্যক্তিগত হোল্ডিং থেকে ভাড়া কিয়োতো এবং ইয়ামাশিরো প্রদেশের অনুপস্থিত অভিজাত এবং ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে (জিশা হোনজো) পৌঁছেছে। তাঁর তত্ত্বাবধানে যোদ্ধাদের ব্যক্তিগত হোল্ডিংগুলো অন্তর্ভুক্ত ছিল না, সাধারণত কানটো এবং আরও উত্তরে কেন্দ্রীভূত ছিল।
নানবোকু-চো যুদ্ধের প্রাদুর্ভাবের সাথে সাথে নাগরিক প্রশাসন (ঋতসুরিও) দ্রুত ভেঙে পড়তে শুরু করে এবং শুগো প্রভুরা, যাদের কামাকুরা আমলে প্রাদেশিক শাসনে সামান্য ভূমিকা ছিল, তারা সিভিল গভর্নরের দায়িত্ব দখল করতে আবির্ভূত হয়েছিল। এটি প্রতিটি প্রদেশে তাত্ক্ষণিকভাবে ঘটেনি। তবে শুগো প্রভুরা সরকারী জমিতে সত্যিকারের গভর্নর না হওয়া পর্যন্ত কোনও বাধা ছাড়াই ঘটেছিল (কোকুগারিও)। তারা সরকারী জমির মধ্যে ব্যক্তিগত হোল্ডিংয়ের তদারকি করার সাথে সাথে তারা বিভিন্ন ধরণের জমির মালিকদের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করেছিল: অভিজাত, বিভিন্ন ধরণের সামুরাই (কোকুজিন, জিজামুরাই) এবং ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের সাথে। তারা এই জমিগুলোতে তাদের নিজস্ব অনুসারীদের চাপিয়ে দিয়েছিল এবং সামরিক সেবার বিনিময়ে বিদ্যমান সামুরাইয়ের জমিগুলো পুনরায় নিশ্চিত করেছিল এবং অনুমানযোগ্য ফলাফলের সাথে অভিজাতদের সাথে শুগো চুক্তি প্রতিষ্ঠা করেছিল (নাগাহারা ১৯৮২: ১৫)। এস্টেটগুলোতে স্থানীয় সামুরাই (কোকুজিন) এর সাথে করদ সম্পর্কের পাশাপাশি, সরকারী জমিতে করদ বন্ধন একটি মূল সংস্থান হয়ে ওঠে যা শুগো প্রভুদের শক্তি বাড়িয়ে তোলে।
তদুপরি, ১৩৪৬ সালে মুরোমাচি শাসনের উত্থানের দশ বছর পর শোগুন শুগোকে এস্টেটগুলোতে ফসল চুরির মামলাগুলো বিচার করার এবং সাম্রাজ্যবাদী বাহিনীর কাছ থেকে নেওয়া যোগ্য করদ রাজ্যগুলোর জমির অস্থায়ী নিয়োগ দেওয়ার অধিকার দিয়ে কর্তৃত্বকে বিকেন্দ্রীকরণ করেছিল (আর্নেসেন ১৯৭৯: ৬৫)। এটি তাৎপর্যপূর্ণ ছিল, যতক্ষণ না কামাকুরা এখতিয়ারের ঐতিহ্যবাহী অঞ্চলগুলো মুরোমাচি শাসন দ্বারা "ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল"। পূর্বে, ফসল চুরি বা জমি বরাদ্দের সমস্ত মামলা কঠোরভাবে কামাকুরা প্রশাসনের অধীনে ছিল। এছাড়াও, প্রায় এই সময়ে, সাম্রাজ্যবাদী শক্তি তাদের সবচেয়ে খারাপ পরাজয়ের সম্মুখীন হচ্ছিল, শত্রুদের জমি বাজেয়াপ্ত ও পুনর্নির্ধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দিচ্ছিল। শুগো প্রভুদের এই নতুন এখতিয়ার দেওয়ার মাধ্যমে এটি তাদের নির্ধারিত প্রদেশগুলোর গভর্নর হিসাবে তাদের অবস্থানকে আরও বাড়িয়ে তোলে।
=== বৈধতা এবং ক্ষমতার সীমাবদ্ধতা ===
এই দ্বৈত ক্ষমতায় শুগো প্রভুদের গভর্নর হিসাবে পরিচালিত জমির জন্য প্রদেশগুলোতে অন্যান্য জমি সামুরাইয়ের সাথে প্রতিযোগিতা করতে হয়েছিল। তবে ব্যক্তিগতভাবে মালিকানাধীন ছিল না। অভিজাত মালিকদের মতো, একক শুগো প্রভু বেশ কয়েকটি প্রদেশের বিস্তৃত অঞ্চলে জমির মালিক ছিলেন। তাঁর ক্ষমতা ষোড়শ শতাব্দীর আঞ্চলিক প্রভুদের (দাইমিও) মতো জমির ব্যক্তিগত মালিকানার উপর নির্মিত হয়নি। তবে করদের বন্ধনের মাধ্যমে স্থানীয় সামুরাইয়ের আনুগত্যের উপর নির্মিত হয়েছিল (মিয়াগাওয়া ১৯৭৭: ৯১-৯৩)। ষোড়শ শতাব্দীর আঞ্চলিক প্রভুদের দ্বারা অনেক বেশি জবরদস্তিমূলক সম্ভাবনা প্রয়োগ করা হয়েছিল। কারণ তাদের আশেপাশের জমিগুলোর মালিকানার উপর ভিত্তি করে তাদের করদের বন্ধন ছিল: মালিক হিসাবে তারা উপযুক্ত হিসাবে জমিটি ছেড়ে দিতে পারে, খুব বেশি ঝামেলা ছাড়াই অবাধ্য করদ রাজ্যগুলোর থেকে মুক্তি পেতে পারে। চতুর্দশ শতাব্দীতে, শুগো প্রভুরা অঞ্চলটির প্রদেশব্যাপী মালিকানা দাবি করতে পারেনি: প্রথমত, ব্যক্তিগত প্রাদেশিক মালিকানার ধারণাটি তখনও অনুন্নত ছিল; দ্বিতীয়ত, তারা কখনই প্রচুর পরিমাণে ব্যক্তিগত সম্পত্তি সংগ্রহ করেনি, বরং তাদের সামন্তদের দখল করার জন্য এস্টেট জমি এবং সরকারী জমির ঐতিহ্যবাহী কাঠামো ব্যবহারের উপর নির্ভর করেছিল। এটি চতুর্দশ শতাব্দীর কেন্দ্রীয় রহস্য: এস্টেট সিস্টেমের বিভাজন এবং বিলুপ্তি এবং নাগরিক প্রশাসনের অন্তর্ধান ব্যক্তিগত জমির বিস্তারের সাথে মিলে যায়। তবে এস্টেট সিস্টেমের বাহ্যিক কাঠামো (শোয়েন) এবং পাবলিক ল্যান্ডস সিস্টেম (কোকুগারিও), যদিও বিষয়বস্তু বিহীন, তবুও রয়ে গেছে (কিয়ারস্টেড ১৯৮৫: ৩১১-১৪)। বিভাজনের পরিপ্রেক্ষিতে, এটি ছিল শুগো করদের মধ্যস্থতাকারী সম্পর্ক এবং প্রাদেশিক গভর্নর হিসাবে শুগোর ভূমিকা। এটি কিছুটা হলেও ভিন্ন শক্তিকে সংহত করতে সহায়তা করেছিল।
যোদ্ধাদের হাতে যে অবক্ষয়ের শিকার হয়েছিল তার পরিপ্রেক্ষিতে এস্টেট ব্যবস্থা কীভাবে আদৌ বেঁচে ছিল তা আশ্চর্যের বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। উপরে বর্ণিত ক্ষয়িষ্ণু আকারে টিকে থাকার দুটি কারণ ছিল: এক, মুরোমাচি শাসনের অস্তিত্ব ছিল যা যোদ্ধা আক্রমণের মুখে ধারাবাহিকভাবে এস্টেট ব্যবস্থাকে সমর্থন করেছিল (নাগাহারা ১৯৮২: ১৬)। দ্বিতীয় বিভাগে বর্ণিত হিসাবে, আশিকাগা তাকাউজি নিশ্চিত করার চেষ্টা করেছিলেন যে অর্ধেক করের পরিমাপ দ্বারা যোদ্ধাদের উপর নির্ধারিত সীমা অতিক্রম করা হয়নি। তবে তিনি শুগো চুক্তির মতো ব্যবস্থাগুলো এড়াতে ব্যর্থ হয়েছিলেন যা সত্যই তার সম্পত্তি এবং এর আয়ের আভিজাত্যকে অস্বীকার করেছিল। অর্ধ করের পরিমাপ নিজেই সামুরাইয়ের হাতে সম্পত্তির সরাসরি দখল থেকে আভিজাত্যকে রক্ষা করেনি, এমনকি যদি পরবর্তীকালে অর্ধ কর আইন পূরণের জন্য একটি অংশ হস্তান্তর করার প্রয়োজন হয়। শেষ পর্যন্ত, মুরোমাচি প্রশাসনই নিশ্চিত করেছিল যে সামুরাইরা তাদের আয়ের অংশ অভিজাতদের প্রদান করে।
এস্টেট ব্যবস্থার টিকে থাকার পেছনে অন্য কারণটি অভিজাত শ্রেণীর বৈধতার সাথে সংযুক্ত ছিল। এস্টেটে বসবাসকারী কৃষকদের মধ্যে যোদ্ধাদের উত্থান জনপ্রিয় ছিল না। অভিজাতদের আরও কোমল হাত ছিল সেই হাতটিও লোকেরা শ্রদ্ধা করতে এসেছিল। জনগণের মধ্যে সরাসরি অবাধ্যতা ও বিদ্রোহ রোধ করা শুগো প্রভু এবং কোকুজিন উভয়ই এস্টেট কাঠামোর বাহ্যিক রূপকে সম্মান জানাতে আসার একটি কারণ ছিল। কৃষকদের চোখে তাদের শাসনকে বৈধ করার জন্য, যোদ্ধারা এস্টেট কাঠামোর কাঠামোর মধ্যে কাজ করেছিল, যদিও এই কাঠামোটি পুরোপুরি পরিবর্তিত হয়েছিল (নাগাহারা ১৯৮২: ১৬-৭)। একটি মামলা তৈরি করা যেতে পারে যে ইয়ামাশিরো প্রদেশের বাইরে এস্টেট ব্যবস্থা এমন পরিমাণে ক্ষয়প্রাপ্ত হয়েছিল, প্রদেশগুলোতে অভিজাতদের কোনও প্রভাব অবশিষ্ট ছিল না।
== আশিকাগা শক্তি একীকরণ: ১৩৬০-১৩৭০ ==
১৩৫৮ সালে তাকাউজির মৃত্যুর পর শোগুনতন্ত্র তার পুত্রের হাতে চলে যায় যোশিয়াকিরা। তাঁর নেতৃত্বে, এবং কানরেই হোসোকাওয়া ইয়োরিয়ুকির নেতৃত্বে, শাসনব্যবস্থা ১৩৬০ এবং ৭০ এর দশকে শুগো প্রভুদের সংহত করতে সফল হয়েছিল: আশিকাগার শুগো শাখা পরিবারগুলো সরকারী আমলাতন্ত্রের মধ্যে নিযুক্ত ছিল। আমি নিম্নলিখিত পয়েন্টগুলো কভার করব: ১) কানরেই কাউন্সিল সিস্টেমের উত্থান, এবং মধ্যস্থতাকারী যন্ত্র হিসাবে বোর্ড অফ রিটেইনার্স যা শুগো প্রভুদের শাসনের সাথে আরও দৃঢ়ভাবে আবদ্ধ করেছিল; ২) শোগুনাল আধিপত্যের আকারে একটি জবরদস্তিমূলক যন্ত্রের উত্থান যা ভ্রান্ত শুগো প্রভুদের শৃঙ্খলাবদ্ধ করতে ব্যবহৃত হয়েছিল এবং দক্ষিণ দরবারের বাহিনীর চূড়ান্ত পরাজয়; ৩) দরবারের র্যাংকিং সিস্টেমের ব্যবহার একটি মধ্যস্থতাকারী যন্ত্র হিসাবে যা শাসনকে রাজকীয় দরবারের সাথে আবদ্ধ করেছিল এবং এর সাথে সম্পর্কিত ১৩৬৮ সালের হানজেই অর্ধ-কর ডিক্রি এবং এর প্রভাব। ৪) কিউশু ও কানটো অঞ্চলে মুরোমাচি কর্তৃপক্ষের সীমাবদ্ধতা।
শাসনব্যবস্থাকে পুনর্গঠন করে কান্নো ঘটনার ক্ষত নিরাময়ের জন্য শোগুন যোশিয়াকিরার উপর ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। ১৩৬২ সালে তিনি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেছিলেন যা শুগো প্রভুদের শাসনের সাথে সংযুক্ত করেছিল: কানরেই কাউন্সিল সিস্টেম। এই ব্যবস্থাটি দুটি উপাদান নিয়ে গঠিত হয়েছিল, কানরেই অফিস এবং সিনিয়র করদ রাজ্য কাউন্সিল (জুশিন কাইগি) যার উপর কানরেই সভাপতিত্ব করেছিলেন। কানরেই কাউন্সিল ব্যবস্থায় সবচেয়ে শক্তিশালী শুগো পরিবারকে সরাসরি মধ্য ও পশ্চিম জাপান শাসনে অংশগ্রহণকারী হিসাবে জড়িত করা হয়েছিল। শোগুনের পাশাপাশি, কানরেই কাউন্সিল মুরোমাচি শাসনের হৃদয় গঠনের জন্য এমন পরিমাণে আবির্ভূত হয়েছিল, ইতিহাসবিদরা এই শাসনকে বাকুফু-শুগো সিস্টেম হিসাবে চিহ্নিত করতে এসেছেন (তনুমা ১৯৭৬: ১২; তানুমা ১৯৭৬: ১২)। হ্যারিংটন ১৯৮৫: ৬৭)।
=== কানরেই কাউন্সিল এবং প্রতিষ্ঠানের পুনর্গঠন ===
কানরেই কাউন্সিল ব্যবস্থা মধ্যস্থতাকারী ছিল। কারণ এটি আমলাতান্ত্রিক শাসনের সামরিক দিককে একত্রিত করেছিল। কান্নো ঘটনার সাথে উদ্ভূত দ্বন্দ্বটি তাকাউজি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত সামরিক করদ রাজ্য প্রতিষ্ঠান এবং তাদায়োশি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত আমলাতান্ত্রিক-বিচারিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে বিচ্ছেদ এবং সংঘর্ষের সাথে সম্পর্কিত। কানরেই কাউন্সিল ব্যবস্থার উত্থানের সাথে সাথে প্রশাসনের সামরিক পক্ষের প্রতিনিধিত্বকারী শুগো প্রভুরা নীতি সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় হিসাবে আমলাতন্ত্রের সাথে দৃঢ়ভাবে আবদ্ধ ছিলেন।
কানরেই অফিস নিজেই শোগুনের সাথে শুগো প্রভুদের স্বার্থকে একত্রিত করে মধ্যস্থতার একটি ভাল উদাহরণ। কানরেইয়ের কাজ ছিল সিনিয়র করদ রাজ্য কাউন্সিল (জুশিন কাইগি) এবং শোগুনের মধ্যে মুখপাত্র হিসাবে কাজ করা, দুজনের মধ্যে মধ্যস্থতা করা (কাওয়াই ১৯৭৭: ৭০)। কানরেইয়ের দৈনন্দিন ভিত্তিতে শাসনের আমলাতান্ত্রিক উপাদানগুলো দেখার, পরামর্শ করা এবং কাউন্সিল এবং আমলাতন্ত্রের কাছে শোগুনাল আদেশগুলো প্রেরণ করাও দায়িত্ব ছিল। কান্রেই ধারাবাহিকভাবে চার প্রজন্মের মধ্যে তাকাউজির সাথে সম্পর্কিত তিনটি শুগো পরিবারের বংশগত গোষ্ঠী থেকে নির্বাচিত হয়েছিল (পাপিনোট ১৯৭২: ২৭): হোসোকাওয়া, হাতাকিয়ামা এবং শিবা। তিনটি পরিবার পালাক্রমে পদটি পূরণ করেছিল। তারা শাসকদের সর্বোচ্চ পদমর্যাদার শুগো পরিবার ছিল এবং কানরেইয়ের পদটি এর সমর্থনে তাদের স্বার্থকে বেঁধে রাখতে সহায়তা করেছিল।
কানরেই কাউন্সিল ব্যবস্থার অন্য উপাদানটি ছিল সিনিয়র করদ রাজ্য কাউন্সিল (জুশিন কাইগি)। কানরেই কাউন্সিলের সভাগুলোর সভাপতিত্ব করেছিলেন, কাউন্সিলের সিদ্ধান্তগুলো শোগুনকে রিলে করেছিলেন এবং শোগুন থেকে কাউন্সিলে আদেশ প্রেরণ করেছিলেন। এই ব্যবস্থায়, কাউন্সিল এবং শোগুনের মধ্যে পরামর্শের মাধ্যমে শাসন নীতি প্রণয়ন করা হয়েছিল, যদিও চূড়ান্ত সিদ্ধান্তগুলো পরবর্তীকালে নেওয়া হয়েছিল (কাওয়াই ১৯৭৭: ৭০-৭১; কাওয়াই ১৯৭৭: ৭০-৭১)। সাতো ১৯৭৭: ৪৮)। শুরুতে, কাউন্সিলটি তিনটি শুগো পরিবারের প্রধানদের সমন্বয়ে গঠিত হয়েছিল যাদের কাছ থেকে কানরেই নিয়মিত নির্বাচিত হয়েছিল এবং শক্তিশালী শুগো পরিবারের আরও চারটি প্রধান: ইয়ামানা, ইশিকি, আকামাতসু এবং কিয়োগোকু (ভার্লি ১৯৬৭: ২৭-৯)। শেষোক্ত দুটি পরিবার আশিকাগা পরিবারের সাথে সম্পর্কিত ছিল না। পরবর্তী কয়েক দশক ধরে ওচি, সাসাকি এবং টোকি পরিবারগুলোর নিয়োগের সাথে সম্পর্কহীন শুগো পরিবারগুলোকে কাউন্সিলে অন্তর্ভুক্ত করার এই প্রবণতা অব্যাহত ছিল। এই প্রবণতাটি ইঙ্গিত দেয় যে শক্তিশালী শুগো পরিবারগুলো, আত্মীয়তা নির্বিশেষে, সিনিয়র করদ রাজ্য কাউন্সিলের মধ্যস্থতাকারী প্রকৃতির মাধ্যমে শাসনের সাথে আবদ্ধ ছিল: শুগো প্রভু এবং শোগুনের মধ্যে দ্বন্দ্ব এবং সম্ভাব্য স্বার্থের দ্বন্দ্বকে শুগো প্রভুদের কাউন্সিলের মধ্যে আলোচনায় তাদের মতামত জানাতে দিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়া হয়েছিল। বোর্ড অফ রিটেইনার্স (সামুরাইডোকোরো) চতুর্দশ শতাব্দীতে ইমাগাওয়া (যিনি একটু পরে কাউন্সিলের সদস্য হয়েছিলেন), হোসোকাওয়া, হাতাকেয়ামা, শিবা এবং টোকির মধ্যে থেকে নির্বাচিত একজন সিনিয়র করদ রাজ্য কাউন্সিল সদস্যেরও নেতৃত্বে ছিলেন। কিয়োতোর রাজধানীতে পুলিশ কার্যাবলী এবং ফৌজদারি বিচার সম্পাদনের উপর বোর্ড অফ রিটেইনারদের দায়িত্ব ছিল (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ৮৮,১০৭)। অফিসধারী স্বয়ংক্রিয়ভাবে জাপানের সবচেয়ে ধনী এবং সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ ইয়ামাশিরো প্রদেশের উপর শুগো হয়ে ওঠে এবং শাসনের সদর দফতর এবং কিয়োতো শহর রক্ষার দায়িত্ব ছিল (ভার্লি ১৯৬৭: ৫৭)। পঞ্চদশ শতাব্দীর শুরুতে, চারটি শুগো পরিবারের মধ্যে থেকে অনুচর বোর্ডের প্রধান বেছে নেওয়া হয়েছিল: ইয়ামানা, আকামাতসু, কিয়োগোকু এবং ইশিকি। রিটেইনার্স বোর্ড কানরেই কাউন্সিল সিস্টেম যা করেছিল তা করেছিল: এটি শুগো প্রভুদের স্বার্থকে শাসনের সাথে সংযুক্ত করেছিল এবং এর ফলে তাদের মধ্যে সম্ভাব্য দ্বন্দ্বের মধ্যস্থতা করেছিল। শাসকগোষ্ঠীর সম্ভাব্য সংঘাতের উৎস শুগো প্রভুরা শাসকগোষ্ঠীর একটি প্রতিষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী হয়ে ওঠায় মধ্যস্থতাকারী ছিল।
সিনিয়র করদ রাজ্য কাউন্সিল এবং রিটেইনার্স বোর্ডে শুগোর অংশগ্রহণ পুনর্নির্মিত শাসনব্যবস্থায় তাদের অংশগ্রহণের আরও দুটি বিশিষ্ট উদাহরণ ছিল। এই অংশগ্রহণের গুরুত্বকে অবমূল্যায়ন করা যায় না: এই মধ্যস্থতাকারী যন্ত্রগুলো ব্যবহারের মাধ্যমেই আশিকাগা শোগুনরা তাদের নির্দেশনায় রাষ্ট্রকে কেন্দ্রীভূত করতে সক্ষম হয়েছিল। যেমনটি আমরা বারবার দেখব, মুরোমাচি সমাজের সমস্ত স্তরে নিয়োগের ব্যবস্থা হিসাবে হেডশিপ বন্ধন (সোরিও) আকারে আত্মীয়তা বড় হয়ে উঠেছে: এখানেও, সর্বোচ্চ অবস্থানের শুগো প্রভুরা বেশিরভাগই আশিকাগার শাখা পরিবার ছিল। যাইহোক, এই আত্মীয়তার বন্ধনগুলো আধা-স্বাধীন শুগো প্রভু এবং শাসকদের মধ্যে মধ্যস্থতার পথে খুব কমই কাজ করেছিল। বরং কানরেই কাউন্সিল ব্যবস্থার মাধ্যমে শাসন পরিচালনায় শুগো প্রভুদের কার্যকর অংশগ্রহণ ছিল যা তাদের স্বার্থকে শাসনের সাথে আগের চেয়ে আরও দৃঢ়ভাবে আবদ্ধ করেছিল।
=== আশিকাগা এবং শুগো জোটের উসে ===
১৩৬২ সালে দেশের দুটি সবচেয়ে শক্তিশালী শুগো ঘর, ওউচি এবং ইয়ামানা, এই শর্তে আশিকাগা শাসনের কাছে আত্মসমর্পণ করেছিল যে শোগুন তাদের নিজ নিজ প্রদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবে না (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ২৫)। পরবর্তীকালে, ইয়ামানা, যারা আশিকাগার সাথে সম্পর্কিত ছিল এবং ওউচি, যারা সম্পর্কিত ছিল না, সরকারী বিষয়ে ক্রমবর্ধমান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে শুরু করে। যাইহোক, কয়েক দশকের মধ্যে, উভয় শুগো ঘর শোগুনের ক্রোধের জন্য যথেষ্ট শক্তিশালী হয়ে ওঠে।
১৩৬৬ সালে প্রথম কানরেই অফিসধারীর পিতা, শিবা টাকাতসুনে, যিনি তার তেরো বছর বয়সী ছেলের উপর আসল ক্ষমতা রেখেছিলেন এবং যিনি শিবা পরিবারের সদস্যদের মূল সরকারী অফিসগুলোতে বসানোর ইঞ্জিনিয়ার করেছিলেন, তার ক্রমবর্ধমান শক্তি এবং অহংকারের কারণে বিশ্বাসঘাতক হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছিল (তিনি কানরেই পদ গ্রহণ করে অবমাননা বোধ করেছিলেন, তাই তার পরিবর্তে তিনি তার ছেলেকে নিয়োগ দিয়েছিলেন)। একটি গুরুত্বপূর্ণ শুগো পরিবারের বিরুদ্ধে শক্তির প্রথম প্রদর্শনে, যোশিয়াকিরা ইয়ামানা, সাসাকি, যোশিমি এবং টোকি শুগো প্রভুদের এচিজেন প্রদেশের শিবা আক্রমণ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। শিবা পরাজিত হয়েছিল এবং এচিজেনে তাদের অঞ্চল পুনরায় বিতরণ করা হয়েছিল (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ৯২)। ১৩৬৭ সালে শিবা পরিবারকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর হোসোকাওয়া ইয়োরিয়ুকিকে কানরেই পদের উত্তরসূরি হিসাবে নামকরণ করা হয়েছিল: শোগুন যোশিয়াকিরার মৃত্যুর পর ইয়োরিয়ুকি তরুণ শোগুন যোশিমিতসুর সংখ্যালঘু থাকাকালীন শাসনকে আরও দৃঢ় ভিত্তির উপর স্থাপন করতে সক্ষম হন। ১৩৬৬ সালে তাদের নিজস্ব সহকর্মীদের একজনকে আক্রমণ করার জন্য শুগো প্রভুদের ব্যবহার, শুগো প্রভুদের তুলনায় শোগুনের ক্রমবর্ধমান কর্তৃত্ব এবং বয়সের সাথে বাড়তে থাকা জবরদস্তির একটি কার্যকর যন্ত্রের উত্থানের দিকে ইঙ্গিত করে। তখন পর্যন্ত, আমরা সত্যিকারের শৃঙ্খলাবদ্ধ ব্যবস্থার কার্যত অস্তিত্বহীনতা দেখেছি যা শোগুন তার শুগো প্রভুদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে পারে। শোগুন এবং শুগো প্রভুদের মধ্যে উদ্ভূত নতুন মধ্যস্থতাকারী যন্ত্রগুলোর সাথে একত্রে, শোগুন-শুগো জোটের মাধ্যমে এক শুগো প্রভুকে অন্যের বিরুদ্ধে দাঁড় করানোর নতুন জবরদস্তিমূলক যন্ত্রটি শোগুনের হাতকে শক্তিশালী করেছিল।
১৩৬২ সালে কিয়োতোর বিরুদ্ধে সর্বশেষ দক্ষিণ দরবারের আক্রমণ আশিকাগাকে রাজধানী থেকে সরে আসতে বাধ্য করেছিল। তবে পূর্ববর্তী অনেক প্রচেষ্টার মতো, সাম্রাজ্যবাদীদের শেষ পর্যন্ত কিছু অর্জন না করেই একটি বড় পাল্টা আক্রমণের মুখে পিছু হটতে হয়েছিল (সানসোম ১৯৬১: ১০৮)। ১৩৫০-এর দশকে সাম্রাজ্যবাদী সেনাবাহিনীর মধ্যে যে উচ্ছ্বাস ছিল তা ম্লান হয়ে গেছে। এই তারিখের পরে প্রতিরোধ বিক্ষিপ্ত এবং সম্পূর্ণ প্রতিরক্ষামূলক হয়ে ওঠে। অবশেষে ১৩৬৯ সালে সম্রাট গো-মুরাকামির মৃত্যুর এক বছর পর কট্টর সাম্রাজ্যবাদী জেনারেল কুসুনোকি মাসানোরি শাসকগোষ্ঠীর কাছে আত্মসমর্পণ করেন। তাঁর আত্মসমর্পণের ফলে কেন্দ্রীয় প্রদেশগুলোর প্রতি সাম্রাজ্যবাদী হুমকির অবসান ঘটে (সানসোম ১৯৬১: ১০৮)।
=== দরবারের কাছে বৈধতা চাওয়া ===
১৩৭০ সালে ইমাগাওয়া সাদায়ো (রিওশুন) দ্বারা নিযুক্ত করা হয়েছিল কানরেই ইয়োরিয়ুকি এবং সিনিয়র করদ রাজ্য কাউন্সিল কিউশুতে দক্ষিণ দরবারের প্রতিরোধের শেষ দুর্গটি নামিয়ে আনতে। বারো বছরের কঠোর অভিযানের পর সাম্রাজ্যবাদী প্রতিরোধ ১৩৮১ সালে কিকুচি পরিবারের পরাজয়ের সাথে ভেঙে পড়ে। ১৩৮৫ সালে শিমাজু উজিহিসার মৃত্যুর সাথে সাথে সর্বশেষ কিউশু প্রাদেশিক ডোমেন শাসনব্যবস্থার প্রতি তার আনুগত্য ঘোষণা করেছিল (সানসোম ১৯৬১: ১১২)। কিউশুর পতনের সাথে সাথে সমগ্র পশ্চিম জাপান আশিকাগা শাসনের শাসন ও প্রভাবের অধীনে আসে। তবে অভিজাতদের উপর আশিকাগা শাসনকে বৈধতা দেওয়ার জন্য একা প্রচারণা অপর্যাপ্ত ছিল। ১৩৬৭ এর পর শোগুন যোশিমিতসুর সংখ্যালঘু সময়ে, কানরেই হোসোকাওয়া ইয়োরিয়ুকি অভিজাতদের চোখে শাসনকে বৈধতা দেওয়ার প্রয়াসে সক্রিয় হয়ে ওঠেন। তিনি বেশ কয়েকটি অত্যন্ত রক্ষণশীল পদক্ষেপের মাধ্যমে এটি করেছিলেন, কিয়োতোর অভিজাতদের মধ্যে প্রতিপত্তি অর্জন করেছিলেন। তিনি তরুণ শোগুনকে এতে অংশ নিয়ে একটি প্রাচীন দরবার র্যাংকিং সিস্টেম ব্যবহার করেছিলেন (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ২৬)। তিনি অতীতের যে কোনও যোদ্ধা নেতার চেয়ে দরবারের সাথে শাসকগোষ্ঠীকে আরও ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত করেছিলেন। এটি করার মাধ্যমে, তিনি শাসনকে রাজদরবারের কাছাকাছি বেঁধে রেখেছিলেন, যার ফলে নানবোকু-চো দ্বন্দ্বে ইন্ধন জুগিয়েছিল এমন মতাদর্শের কলঙ্ক মুছে ফেলা হয়েছিল: আশিকাগা তাকাউজিকে সাম্রাজ্যবাদী শক্তি পুনরুদ্ধারের বিরুদ্ধে লড়াই করা বিশ্বাসঘাতক হিসাবে দেখা হয়েছিল।
জাপানি সমাজের বিভিন্ন শ্রেণির মধ্যে এর জনপ্রিয়তার কারণে দরবার সমাজ এত দীর্ঘ সময় টিকে ছিল। এস্টেট স্তরে, কৃষকরা যোদ্ধাদের চেয়ে অভিজাতদের সাথে অনেক বেশি ঘনিষ্ঠ বোধ করেছিল। অভিজাতদের ক্ষয়িষ্ণু শক্তি সত্ত্বেও, তাদের প্রভাব তাদের প্রকৃত ক্ষমতার বাইরে চলে গিয়েছিল। কারণ তারা ঐতিহ্যের বৈধতা এবং সংস্কৃতির ক্যারিশমা ধারণ করেছিল যা যোদ্ধাদের ছিল না। এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই যে ইয়োরিয়ুকি তরুণ শোগুনকে দরবারের অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিল: এই অংশগ্রহণটি মধ্যস্থতাকারী ছিল, দরবারের র্যাংকিং সিস্টেমের সর্বোচ্চ সামরিক নেতাকে জড়িত করেছিল যা বেশ কয়েক শতাব্দী আগের, এবং এর ভিত্তি হিসাবে যোদ্ধাসহ প্রত্যেকের উপর সাম্রাজ্যবাদী ধারার প্রাধান্য ছিল, যাদের সম্রাটের কাছ থেকে উপাধি পেতে হয়েছিল। এই দরবারের র্যাংকিং রীতিতে অংশ নিয়ে, আশিকাগা শাসন পুরো সমাজকে একটি শক্তিশালী বার্তা পাঠাচ্ছিল: দরবার কর্তৃক প্রদত্ত বৈধতা তখনও বৈধ এবং তখনও গুরুত্বপূর্ণ (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ২০)। এই অংশগ্রহণ যোদ্ধা শাসন এবং দরবারের মধ্যে উত্তেজনা দূর করেছিল এবং যোদ্ধা শ্রেণির মধ্যে দরবারের সংস্কৃতি প্রচারের অনিচ্ছাকৃত প্রভাব ফেলেছিল, স্বাদের একটি সংমিশ্রণ তৈরি করেছিল যা চিরকালের জন্য জাপানি সংস্কৃতির এই সময়টিকে উজ্জ্বল উদ্ভাবনের এক হিসাবে চিহ্নিত করেছে। একদিক থেকে এই অংশগ্রহণ ছিল একটি অপ্রচলিততা যা বাস্তব জগৎ থেকে সরানো বলে মনে হয়েছিল,খানে যোদ্ধারা সরাসরি ক্ষমতা প্রয়োগ করত। তবে বৈধতার প্রশ্নটি অগত্যা ক্ষমতার প্রত্যক্ষ অনুশীলনের সাথে আবদ্ধ নয়। বৈধতা মতাদর্শের সাথে আবদ্ধ, এবং অভিজাত আভিজাত্য শাসনের আদর্শিক ভিত্তি যোদ্ধাদের শাসনের চেয়ে ভাল ভিত্তি ছিল। একা শক্তি প্রয়োগ বৈধতা তৈরি করতে পারে না, এবং দরবারকে ঘিরে যে সাংস্কৃতিক পরিবেশ ছিল তা তখনও সামুরাই তরোয়ালের চেয়ে অনেক বেশি প্ররোচিত, অনেক বেশি মার্জিত ছিল। যোদ্ধারা নিজেরাই আভিজাত্যদের সংস্কৃতির প্রতি আকৃষ্ট হয়েছিল এবং উত্সাহের সাথে পরবর্তীকালের স্বাদগুলো অনুকরণ করেছিল যতক্ষণ না তারা এমন একটি সংশ্লেষণ তৈরি করতে সক্ষম হয়েছিল যা আগে যা ছিল তার বাইরে চলে গিয়েছিল যেমন জেন দ্বারা প্রভাবিত রক গার্ডেনের উত্থান অন্যান্য শিল্প ফর্মগুলোর মধ্যে যা আজ অবধি স্থায়ী প্রভাব ফেলেছে। এবং কেবল এই কারণেই, চতুর্দশ শতাব্দীর শেষ কয়েক দশক ধরে শোগুন এবং রাজদরবারের মধ্যে যে সংযোগ কার্যকর হয়েছিল, তা শোগুনের শক্তির বৈধতা প্রশস্ত করার প্রভাব ফেলেছিল।
দ্য কানরি ইয়োরিয়ুকি ১৩৬৮ সালে শেষ অর্ধ-কর ডিক্রি (হানজেই) জারি করেছিলেন। এই ডিক্রিটি একটি বিস্তৃত এবং সিদ্ধান্তমূলক মধ্যস্থতাকারী যন্ত্র ছিল যা শাসকদের সাথে মহৎ স্বার্থকে বেঁধে রাখার জন্য ব্যবহৃত হয়েছিল: এটি রাজকীয় পরিবারের মালিকানাধীন জমি, প্রধান উপাসনালয়গুলোর নিয়ন্ত্রণাধীন জমি এবং রাজকীয় রিজেন্টদের মালিকানাধীন জমি (ফুজিওয়ারা) নিষিদ্ধ করেছিল। ব্যতিক্রমগুলোর মধ্যে আভিজাত্য জমিগুলোও অন্তর্ভুক্ত ছিল যা পূর্ববর্তী শোগুন (সম্ভবত যোশিয়াকিরা?) দ্বারা সম্পূর্ণ শিরোনাম দেওয়া হয়েছিল এবং সামুরাই স্টুয়ার্ডস (জিটো) দ্বারা পরিচালিত এস্টেটগুলো (উইন্টারস্টিন ১৯৭৪: ২১৯-২০)। এই ডিক্রিটি দেশব্যাপী সমস্ত এস্টেটের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য ছিল এবং এর আসল গুরুত্ব ছিল এস্টেটগুলোতে আরও সামুরাই আক্রমণ রোধ করতে এবং ইতিমধ্যে সংঘটিত সামুরাই আক্রমণের মুখে অভিজাতদের স্বার্থ রক্ষার জন্য ব্যবহৃত শক্তিশালী ভাষা। পূর্ববর্তী অর্ধ-করের ডিক্রিগুলোর বিপরীতে, এটি রক্ষণশীল ছিল এবং এর লক্ষ্য ছিল অভিজাত জমিগুলোকে ন্যায়সঙ্গত করার পরিবর্তে বিভাজন থেকে রক্ষা করা।
১৩৬৮ অর্ধ-কর ডিক্রির সাথে, শাসনটি ১৩৫২ ডিক্রি থেকে অনেক দূরে এসেছিল। তবে ইতিমধ্যে সংঘটিত সামুরাই আক্রমণের বাস্তবতা বিপরীত করা যায়নি। এখানে, মতাদর্শগতভাবে প্রকাশ্যে যা বলা হয়েছিল তা প্রদেশগুলোতে প্রকৃতপক্ষে যা ঘটছিল তা থেকে বিচ্যুত হয়েছিল। যেমনটি আমরা উপরে দেখেছি, ১৩৬৮ ডিক্রি সত্ত্বেও এস্টেটগুলোতে সামুরাই এবং শুগো প্রভুদের আক্রমণ মারাত্মক ছিল। আর পঞ্চদশ শতাব্দীতে ভূমি দখলের এই প্রবণতা আরও প্রকট হতে থাকে। আমাকে অবশ্যই এই সিদ্ধান্তে উপনীত হতে হবে যে ১৩৬৮ ডিক্রিটি যোদ্ধাদের অব্যাহত যোদ্ধা টেকওভারের প্রমাণের কারণে এস্টেট এবং তাদের আয়ের উপর নিয়ন্ত্রণ নেওয়া থেকে বিরত রাখতে সামগ্রিকভাবে অকার্যকর ছিল। এক অর্থে, ১৩৬৮ সালের ডিক্রিটি একটি আদর্শিক দলিল ছিল যা শোগুন এবং রাজকীয় দরবারের মধ্যে প্রতিষ্ঠিত ঘনিষ্ঠ সংযোগগুলো অনুসরণ করে আভিজাত্যদের চোখে আশিকাগা শাসনকে বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। তদুপরি, আশিকাগা শোগুনরা ইচ্ছা থাকলেও এস্টেটগুলোর আয়ের উপর যোদ্ধাদের অব্যাহত আক্রমণ বন্ধ করতে সক্ষম ছিল না। যতই অকার্যকর হোক না কেন, ১৩৬৮ সালের ডিক্রি স্বীকৃত মহৎ স্বার্থ একটি যোদ্ধা শাসন দ্বারা মতাদর্শগতভাবে রক্ষা করা হয়েছিল এবং এই প্রক্রিয়ায় উভয়ের স্বার্থকে একত্রে আবদ্ধ করা হয়েছিল।
অবশেষে, ১৩৬০-এর দশকে আবির্ভূত মুরোমাচি শাসনের প্রত্যক্ষ শাসন ভৌগোলিকভাবে কান্তোতে অবস্থিত পূর্ববর্তী কামাকুরা শাসনের বিপরীতে পশ্চিম ও কেন্দ্রীয় প্রদেশগুলোতে সীমাবদ্ধ ছিল। বাইরে শুগো লর্ডস (তোজামা) আশিকাগার সাথে সম্পর্কিত নয় যেমন টেকেদা, চিবা, ইউকি, সাতাকে, ওয়ামা, উতসুনোমিয়া, শোনি, ওটোমো, আসো এবং শিমাজু পরিবারগুলো, যাদের সকলেই কানটো এবং কিউশু অঞ্চলে বা তার কাছাকাছি কেন্দ্রীভূত ছিল তারা কানরেই কাউন্সিল ব্যবস্থায় অংশ নেয়নি এবং শাসন থেকে আধা-স্বাধীন ছিল (ভার্লি ১৯৬৭: ২৯; ভার্লি ১৯৬৭: ২৯)। হল ১৯৬৬: ১৯৯)। কিয়োতো থেকে সহজে নিয়ন্ত্রিত হয়নি এমন অঞ্চলে তাদের প্রধান অবস্থানের কারণে আশিকাগা দ্বারা তাদের মৌনভাবে স্বীকৃত এবং শুগো উপাধি দেওয়া হয়েছিল (হ্যারিংটন ১৯৮৫: ৬৭)।
=== কিউশু ===
১৩৭০ সালে শুরু হওয়া কিউশু অভিযানের পর কিউশু ডেপুটি (তান্দাই) সেই দ্বীপে মুরোমাচি শাসনের প্রতিনিধি হন। ইমাগাওয়া সাদায়ো (রিওশুন) কার্যকরভাবে দক্ষিণ দরবারের বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযানের বিচার করেছিলেন এবং শিমাজু উজিহিসার বাহিনীর বিরুদ্ধে তার আক্রমণ চালিয়ে যান, প্রক্রিয়াটিতে স্থানীয় কিউশু কোকুজিনের সমর্থন অর্জন করেছিলেন (হ্যারিংটন ১৯৮৫: ৮৫-৬)। সাদায়োর মতো ডেপুটিরা তাদের নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে মুরোমাচির প্রতিনিধি ছিলেন, এমনকি যখন তারা স্থানীয় সামুরাইকে করদের পুরো ক্ষমতা অহংকার করেছিলেন। উদাহরণস্বরূপ, ১৩৭৭ সালে সাদায়ো এবং একষট্টি জন স্থানীয় সামুরাইয়ের সমন্বয়ে একটি সামুরাই জোট (ইক্কি) এর মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। চুক্তিতে শর্ত দেওয়া হয়েছিল, জোটের সদস্যদের মধ্যে সমস্ত বিরোধ কিউশু ডেপুটির কাছে নিয়ে যাওয়া হবে, যখন জোটের সদস্য এবং ডেপুটির মধ্যে বিরোধগুলো কিয়োতোর মুরোমাচি শাসনে নিয়ে যাওয়া হবে (হ্যারিংটন ১৯৮৫: ৮৭)। কিউশু ডেপুটি ছিলেন একজন মধ্যস্থতাকারী ব্যক্তিত্ব যিনি শাসকদের স্বার্থ এবং তার এখতিয়ারাধীন স্থানীয় অঞ্চলের স্বার্থকে একত্রিত করেছিলেন। স্বাধীনতার প্রলোভনের কারণে এটি একটি অনিশ্চিত অবস্থান ছিল। তবে যে কোনও কারণেই হোক না কেন, মুরোমাচি শাসন পুরো জাতির উপর তাদের সরাসরি নিয়ন্ত্রণ প্রসারিত করেনি এবং তাই জবরদস্তিমূলক ও মধ্যস্থতাকারী যন্ত্রের মাধ্যমে এই অঞ্চলের শুগো প্রভু এবং সামুরাইকে প্রভাবিত করার জন্য তাদের প্রতিনিধি হিসাবে কাজ করার জন্য কিউশু ডেপুটির মতো নিয়োগকারীদের উপর নির্ভর করতে এসেছিল।
=== কান্তো ===
চতুর্দশ শতাব্দীর শেষের দিকে, কানটো অঞ্চলটি শক্তিশালী যোদ্ধা পরিবারগুলোর দ্বারা আধিপত্য ছিল। এর মধ্যে উসুগিরা ছিল সবচেয়ে শক্তিশালী। তারা তাদের নিজস্ব স্বার্থ এগিয়ে নেওয়ার জন্য এই অঞ্চলের পরিবারগুলোর মধ্যে ছড়িয়ে পড়া লড়াইয়ের সুযোগ নিতে সক্ষম হয়েছিল। ১৩৬৮ সালে উৎসুনোমিয়া পরিবার মুরোমাচি শাসনের কামাকুরা সদর দফতরের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছিল। কারণ তারা উয়েসুগির কাছে তাদের শুগো পোস্ট হারিয়েছিল। উসুগি পরিবার তাদের এখতিয়ারের অধীনে শুগো পোস্ট সংগ্রহ করে এবং অন্যান্য পরিবারের ব্যয়ে কান্টো অঞ্চলে করদ রাজ্যগুলোর ঘিরে ফেলে তাদের প্রভাব প্রসারিত করতে সক্ষম হয়েছিল (হ্যারিংটন ১৯৮৫: ৮২-৩)। কেউ একটি তত্ত্ব এগিয়ে নিতে পারে যে কান্টো অঞ্চলটি কিয়োতো থেকে আধা-স্বাধীন হয়ে উঠেছে এবং উসুগি সমর্থনের কারণে মুরোমাচি শাসনের কামাকুরা সদর দফতর বিদ্যমান ছিল। উয়েসুগি পরিবার তাদের অনাকাঙ্ক্ষিত অবস্থানের কারণে কান্টো কানরেই পদে তাদের নিয়োগের মাধ্যমে মুরোমাচি সরকার কর্তৃক আইনত স্বীকৃত হয়েছিল।
মুরোমাচি শাসনের কামাকুরা সদর দফতর কিউশু ডেপুটি (তান্দাই) এর মতোই কাজ করেছিল: এটি আঞ্চলিক মধ্যস্থতাকারী অফিসে পরিণত হয়েছিল যার মাধ্যমে শাসনের আদেশ বহির্মুখী কানটো অঞ্চলে প্রেরণ করা হয়েছিল। উপরে দেখা বাস্তবে কান্টো উসুগির মতো শক্তিশালী পরিবার দ্বারা আধিপত্য ছিল। ক্রমবর্ধমানভাবে, কামাকুরা সদর দফতর মুরোমাচি শাসন থেকে স্বাধীন হয়ে ওঠে এবং সমস্ত প্রয়োজনীয় উদ্দেশ্যে আঞ্চলিক বিরোধ, আঞ্চলিক কর আরোপের যত্ন নেয় এবং কিয়োতোর মুরোমাচি সরকারের ন্যূনতম উল্লেখ সহ কান্টোতে শুগো প্রভুদের সাথে সম্পর্ক গড়ে তোলে - যদিও জায়গীর নিশ্চিত করার অধিকার এবং শুগো নিয়োগ অনুমোদনের অধিকার প্রযুক্তিগতভাবে কিয়োতোর হাতে রয়ে গেছে (হ্যারিংটন ১৯৮৫: ৮৩-৫)।
=== আশিকাগা শক্তির কেন্দ্রীকরণ এবং নানবোকু-চো যুদ্ধের সমাপ্তি: ১৩৭৯–১৩৯৯ ===
১৩৬০-এর দশকের গুরুত্বপূর্ণ দশকে একের পর এক প্রতিরোধের ক্ষেত্র মুরোমাচি শাসনের হাতে পড়েছিল: স্পষ্টতই, ওচি এবং ইয়ামানার মতো শক্তিশালী শুগো প্রভুরা নিজেদেরকে আধা-স্বাধীন প্রভু হিসাবে জমা দিয়েছিলেন; সময় যত গড়িয়েছে ততই দক্ষিণ দরবারের প্রতিরোধ আরও নিরর্থক হয়ে উঠেছে। সামরিকভাবে শাসনব্যবস্থা ১৩৬৬৬৬৬৬ সালে শুগো প্রভুদের তাদের নিজস্ব সহকর্মীদের একজনকে আক্রমণ করার আহ্বান জানাতে সক্ষম হয়েছিল, শোগুনাল নিয়ন্ত্রণে শুগোর ক্রমবর্ধমান অধীনতার দিকে ইঙ্গিত করে। কানরেই কাউন্সিল সিস্টেম তৈরি এবং বাকুফু আমলাতন্ত্রে শক্তিশালী শুগো পরিবারগুলোর ক্রমবর্ধমান অংশগ্রহণের সাথে হাত মিলিয়ে রাজকীয় দরবারের সাথে সম্পর্ক শাসনের বৈধ ভিত্তিকে আরও প্রশস্ত করেছিল। এই মূল বিকাশগুলো কেবল শোগুনাল নিয়ন্ত্রণ বাড়ানোর জন্যই নয়, শুগো প্রভু এবং অভিজাতদের স্বার্থকে শাসনের সাথে আরও ঘনিষ্ঠভাবে আবদ্ধ করার জন্য ব্যবহৃত হয়েছিল। [১৮] তবে ভৌগোলিকভাবে, মুরোমাচি শাসনের পরিধি সীমিত ছিল, কানটো এবং কিউশু অঞ্চলের এখতিয়ার আঞ্চলিক প্রতিনিধিদের কাছে অর্পণ করে এবং হনশুর কেন্দ্রীয় ও পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশগুলোর উপর কমবেশি সরাসরি নিয়ন্ত্রণ রেখেছিল।
১৩৭৯ সালে যোশিমিতসুর কর্তৃত্ব গ্রহণের পঞ্চাশ বছর পর মুরোমাচি শাসন দেশের অপ্রতিদ্বন্দ্বী সরকার হিসাবে তার সবচেয়ে শক্তিশালী পর্যায়ে প্রবেশ করেছিল। শোগুনের নিয়ন্ত্রণ বাড়ার সাথে সাথে শোগুন এবং শুগো প্রভুদের মধ্যে সংযোগ আরও শক্ত হয়েছিল। প্রধান যন্ত্র এবং তাদের প্রভাবগুলো যা শোগুনকে শুগো প্রভুদের উপর নিয়ন্ত্রণ প্রয়োগ করতে এবং জড়িত শাসনের বৈধতার ভিত্তিকে প্রশস্ত করতে সক্ষম করেছিল: ১) মুরোমাচি শাসন এবং রাজকীয় দরবারের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের ধারাবাহিকতা; ২) শুগো প্রভুদের লক্ষ্য করে বাধ্যতামূলক আবাসিক নীতি; ৩) শোগুণাল আর্মির (গোবাঁশু) অধিকতর উন্নয়ন; ৪) বেশ কয়েকটি শুগো প্রভুর জোট ব্যবহার করে শোগুনাল আধিপত্যের উত্থান। ৫) শাসকগোষ্ঠী কর্তৃক বাণিজ্যিক ও কৃষি রাজস্ব এবং করের ব্যবহার। এই সমস্ত পরিবর্তনগুলো কেন্দ্রীভূত শক্তির অব্যাহত প্রবণতার উদাহরণ দেয় যা শাসনের শক্তি বৃদ্ধি করেছিল। আশিকাগা এবং সাম্রাজ্যীয় দরবার
অধীনে যোশিমিতসু (সক্রিয় ১৩৭৯–১৪০৮) যিনি ইয়োরিয়ুকিকে বরখাস্ত করার পরে ক্ষমতার লাগাম ধরেছিলেন কানরেই, এই বিশেষ সংযোগের প্রভাবগুলো জাপানি ইতিহাসের অন্যতম উজ্জ্বল সময়কে উত্সাহিত করেছিল, স্থাপত্য ও সাংস্কৃতিক ফর্মগুলোর পরিপক্কতার জন্য বিখ্যাত যা তখন থেকে জাপানি সংস্কৃতির বৈশিষ্ট্যযুক্ত। রাজদরবার এবং এর সংস্কৃতির সাথে তাঁর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক এবং নতুন শিল্পের প্রতি তাঁর পৃষ্ঠপোষকতা সামরিক অভিজাতদের কাছে বিশেষত শুগো প্রভুদের মাধ্যমে এই সংস্কৃতি ছড়িয়ে দিতে সহায়তা করেছিল (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ৩১-৩২; গ্রসবার্গ ১৯৮১: ৩১-৩২)। কাওয়াই ১৯৭৭: ৭২)। শোগুন এবং রাজকীয় দরবারের মধ্যে এই সংযোগ উভয় প্রতিষ্ঠানে অতিরিক্ত মর্যাদা এনেছিল এবং শোগুনকে নাগরিক বৈধতা এবং সংস্কৃতির আভা দিয়েছিল যা পূর্ববর্তী কামাকুরা শাসনের অভাব ছিল।
দরবারের প্রতিষ্ঠানগুলোতে অংশ নিয়ে, শোগুন দরবারের সংস্কৃতির বেশিরভাগ পরিমার্জিত বিনোদনও গ্রহণ করেছিলেন। পূর্ব প্রাতিষ্ঠানিক সংযোগের ফলে সাংস্কৃতিক সাধনা এসেছিল। আদর্শিক ন্যায্যতার সাথে সংস্কৃতির আরও মিল রয়েছে: যেমনটি আমরা আগের বিভাগে দেখেছি, দরবারের সংস্কৃতির বেশিরভাগ অংশ যোদ্ধাদের কাছে অস্বীকার করা বৈধতা উপভোগ করেছিল।
=== বলপ্রয়োগের একচেটিয়া: বাধ্যতামূলক বাসস্থান ===
শোগুন-শুগো সম্পর্কের দিকে অগ্রসর হয়ে, ১৩৮০-এর দশকে কানরেই কাউন্সিল ব্যবস্থাটি যোশিমিতসু দ্বারা শক্তিশালী করা হয়েছিল যখন তিনি পশ্চিম ও মধ্য শুগো প্রভুদের কিয়োতোতে বাসস্থান নিতে রাজি করেছিলেন। এমনকি তিনি ১৩৮৯ সালে ওউচি ইয়োশিহিরোর সাথে দেখা করতে গিয়েছিলেন এবং তার তথাকথিত তীর্থযাত্রার সময় তাকে কিয়োতোতে বাস করতে রাজি করান। এই সার্কিটগুলো তিনি যে প্রদেশগুলোতে ভ্রমণ করেছিলেন সেগুলোর মাধ্যমে তাঁর শক্তি প্রদর্শন করতে ব্যবহৃত হয়েছিল (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ২৯-৩০)। যোশিমিতসু যে বাধ্যতামূলক আবাসিক নীতি চালু করেছিলেন তা ছিল প্রধান জবরদস্তিমূলক নীতি যা কানরেই কাউন্সিল ব্যবস্থাকে সহায়তা করেছিল এবং শোগুনকে শুগো প্রভুদের চারপাশে তার খপ্পর শক্ত করতে সক্ষম করেছিল। রাজধানী শহর ছেড়ে যাওয়ার অনুমতি খুব কমই শুগো প্রভুকে দেওয়া হয়েছিল: এটি কেবল সিনিয়র করদ রাজ্য কাউন্সিলে আলোচনার পরে মঞ্জুর করা হয়েছিল। এমনকি প্রাদেশিক বিদ্রোহ বা দক্ষিণ দরবারের গেরিলা কার্যকলাপের ক্ষেত্রে অনুমতি দেওয়া হলেও, উপযুক্ত জিম্মিদের কিয়োতোতে রেখে দেওয়া হয়েছিল। যদি শুগো প্রভু অনুমতি ছাড়াই চলে যান তবে এটি রাষ্ট্রদ্রোহের সমতুল্য হিসাবে দেখা হত (কাওয়াই ১৯৭৭: ৬৮-৯; তনুমা ১৯৭৬: ১৩)।
কান্তো এবং কিউশু শুগোকে কিয়োতোতে বাধ্যতামূলক বসবাসের এই আদেশ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল। যাইহোক, মুরোমাচি শাসনের কামাকুরা সদর দফতর কান্টো শুগো প্রভুদের ক্ষেত্রে অনুরূপ নীতি প্রবর্তন করেছিল এবং তাদের কামাকুরায় প্রাসাদ প্রতিষ্ঠা করতে বাধ্য করেছিল যেমন পশ্চিম ও কেন্দ্রীয় শুগো প্রভুরা কিয়োতোতে প্রাসাদ তৈরি করেছিল (কাওয়াই ১৯৭৭: ৬৮)। কিয়োতোতে ম্যানশন বিল্ডিং ফ্যাশনেবল হয়ে ওঠে এবং শেষ পর্যন্ত কিউশুর শিমাজুর মতো শুগো প্রভুদের অন্তর্ভুক্ত করে, যিনি কিয়োতোতে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যদিও তার এটি করার প্রয়োজন ছিল না। শুগো প্রভুদের সত্যিই এই বিষয়ে খুব কম পছন্দ ছিল। তারা হয় কিয়োতোতে বাস করত অথবা শাসকগোষ্ঠীর বিশ্বাসঘাতক হিসাবে চিহ্নিত হয়েছিল। কানরেই কাউন্সিল সিস্টেমের মতো প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি, বাধ্যতামূলক আবাসিক নীতির জাতীয় দৃষ্টিকোণ থেকে এবং প্রাদেশিক দৃষ্টিকোণ থেকে উভয়ই অগণনীয় প্রভাব ছিল। প্রারম্ভিকদের জন্য, শুগো প্রভুদের শক্তি এই নীতি দ্বারা মারাত্মকভাবে সীমাবদ্ধ ছিল: তাদের চলাচলের স্বাধীনতা অবরুদ্ধ করা হয়েছিল। দ্বিতীয়ত, পঞ্চদশ শতাব্দীর দ্বিতীয় চতুর্থাংশে সময় অতিবাহিত হওয়ার সাথে সাথে প্রদেশগুলোতে প্রকৃত শক্তি শুগো প্রভুদের কাছ থেকে দূরে সরে যায় এবং ডেপুটি শুগো (শুগো-দাই) এবং প্রদেশগুলোতে বসবাসকারী অন্যান্য স্বাধীন সামুরাই (কোকুজিন) এর উপর বিশ্রাম নেয়। সুতরাং, শুগো প্রভুদের দৃষ্টিকোণ থেকে বাধ্যতামূলক আবাসিক নীতি দীর্ঘমেয়াদী বিপর্যয় হিসাবে প্রমাণিত হয়েছিল (কাওয়াই ১৯৭৭: ৭৩)। ডেপুটি শুগোর নিয়োগের প্রয়োজন ছিল বাধ্যতামূলক আবাসিক নীতি যদি শুগো প্রভুরা প্রদেশগুলোতে তাদের ক্ষমতা বজায় রাখতে চায়। স্বল্পমেয়াদে, শাখা পরিবারের সদস্যদের এবং সামুরাই কোকুজিনকে ডেপুটি শুগো হিসাবে নিয়োগ দেওয়া এবং প্রদেশগুলোতে তাদের নিজস্ব প্রতিনিধি হিসাবে ব্যবহার করা ভাল কাজ করেছিল; কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে, শুগো প্রভুদের হাত থেকে ক্ষমতা তাদের ভাড়া করা লোকদের হাতে চলে যায়।
=== শোগুনাল আর্মি ===
ইয়োশিমিতসু সামরিক শক্তি প্রয়োগ করে শুগো প্রভুদের আনুগত্যে নামিয়ে আনতে দ্বিধা করেননি এই অজুহাতে যে তারা খুব শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। তিনি তাঁর উপর নির্ভরশীল প্রায় তিন হাজার যোদ্ধা নিয়ে পাঁচটি বিভাগ নিয়ে গঠিত একটি নতুন শোগুনাল সেনাবাহিনী (গোবাঁশু) একত্রিত করেছিলেন (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ১০৬-৭)। এই বাহিনীটি একটি শক্তিশালী অ্যারে ছিল, বিশেষত যখন তারা অন্যান্য শুগো প্রভুদের অবদানের দ্বারা বৃদ্ধি পেয়েছিল। শোগুনাল সেনাবাহিনীর গুরুত্ব পরিমাণের বাইরে চলে যায়। তবে এই বাহিনীটি যা প্রতিনিধিত্ব করে তার উপর আরও আঘাত করে: কোকুজিন সামুরাই দ্বারা গঠিত তার নিজস্ব করদ রাজ্যগুলোর সাথে শোগুনকে সরাসরি সংযুক্ত করে একটি পৃথক বাহিনী। শোগুনাল সেনাবাহিনী শুগো বাহিনীর উপর নজরদারি হিসাবে কাজ করেছিল। দ্বিতীয় অধ্যায়ে আমরা দেখেছি, প্রথম আশিকাগা শোগুন, তাকাউজি, সামুরাই স্টুয়ার্ডদের সাথে এস্টেটের জমিতে আবদ্ধ করে তাদের সাথে সম্পর্ক তৈরি করেছিল। প্রারম্ভিক মুরোমাচি সময়কালে, শোগুনের কমান্ডের অধীনে এই পৃথক করদ রাজ্য শ্রেণিবিন্যাস শুগো শক্তির উপর একটি গুরুত্বপূর্ণ চেক ছিল। আমরা দেখব এই পূর্ববর্তী সেনাবাহিনী যোশিমিতসুর শোগুনাল সেনাবাহিনী থেকে কীভাবে আলাদা ছিল।
শোগুনাল সেনাবাহিনীর দুটি উপাদান ছিল: শোগুনাল দেহরক্ষী (শিনইগুন) আশিকাগা শাখা পরিবারের সদস্য, শুগো আত্মীয় এবং শুগো শাখার পরিবারের সদস্য, শাসক কর্মকর্তাদের অন্যান্য পুত্র ও ভাই এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণভাবে, শক্তিশালী কোকুজিন নিয়ে গঠিত। সংখ্যায় (বড়জোর সাড়ে তিনশো পুরুষ), এই দলটি একটি সুসংহত এবং অনুগত সংস্থা ছিল, যে কোনও মূল্যে শোগুনের ব্যক্তিকে রক্ষা করতে প্রস্তুত ছিল (আর্নেসেন ১৯৮৫: ১০২)। এই ছোট্ট ব্যান্ডের চারপাশে শোগুনের বেশ কয়েকটি প্রত্যক্ষ করদ রাজ্য ছিল যা ১৩৩৬ সালে এর উত্সটি সন্ধান করেছিল, যখন শোগুন তাকাউজি অনেক সামুরাইকে বাড়ির করদ রাজ্য হিসাবে ঘিরে ফেলেছিল যারা সম্ভবত রিজার্ভ সেনাবাহিনী হিসাবে ব্যবহৃত হয়েছিল (গে ১৯৮৬: ৯৫-৬); শোগুনাল দেহরক্ষীর সদস্যদের সাথে সংযুক্ত বৃহত্তর সংখ্যক পরোক্ষ করদ রাজ্য সম্ভবত যোশিমিতসুর অধীনে শোগুনাল সেনাবাহিনীর বেশিরভাগ অংশ তৈরি করেছিল। এই শেষ পয়েন্টটি আর্নেসেন দ্বারা ভালভাবে চিত্রিত হয়েছে, যিনি গণনা করেছিলেন যে শোগুনাল দেহরক্ষীতে সরাসরি করদ রাজ্যের সংখ্যা ষোড়শ শতাব্দীর শেষের দিকে হোজো বংশের অধীনে তালিকাভুক্ত প্রত্যক্ষ করদ রাজ্যের সংখ্যা ষাট থেকে সত্তর শতাংশ ছিল (১৯৮৫: ১২৬)। এবং যদি প্রয়াত হোজো ওডাওয়ারা অভিযানে পঞ্চাশ হাজার সৈন্য মাঠে নামাতে সক্ষম হত। তবে সাড়ে তিনশো শোগুনাল দেহরক্ষী সহজেই তাদের নিজস্ব করদ রাজ্যগুলোর একত্রিত করতে পারত যা গ্রসবার্গ দাবি করেছেন যে তিন হাজার সৈন্য নিয়ে এসেছিল যা গ্রসবার্গ দাবি করেছিলেন যে ১৩৯১ এর মেইটোকু রাইজিং (১৯৮১: ১০৭)। শোগুনাল দেহরক্ষীর সৃষ্টি এবং অন্যান্য শোগুনাল করদ রাজ্যগুলোর উপর এই গোষ্ঠীর কেন্দ্রীয় অবস্থানই যোশিমিতসুর শোগুনাল সেনাবাহিনীকে তাকাউজির শোগুনাল করদ রাজ্য থেকে পৃথক করে। নতুন শোগুনাল সেনাবাহিনীর সাথে একটি শক্ত সংগঠন এবং এসপ্রিট ডি কর্পস আবির্ভূত হয়েছিল।
=== শক্তিশালী শুগোকে পরাজিত করতে শুগো জোটের উসকো ===
তবে যুদ্ধের ময়দানে কানরেই শ্রেণির শুগো প্রভুদের সাথে দেখা করতে এবং পরাজিত করার জন্য একা শোগুনাল সেনাবাহিনী পর্যাপ্ত ছিল না। তবে যোশিমিতসু যে ধরণের যুদ্ধ অনুশীলন করেছিলেন তার জন্য পুরোপুরি উপযুক্ত ছিল: একজন শুগো প্রভুকে পরিবারের সদস্যের বিরুদ্ধে এবং অন্যান্য শুগো প্রভুদের বিরুদ্ধে দাঁড় করানো। পূর্ববর্তী শোগুনের অধীনে উত্থিত নতুন শোগুনাল আধিপত্য, যোশিয়াকিরা, যোশিমিতসুর রাজনীতিতে আধিপত্য বিস্তার করতে এসেছিল। শোগুনাল প্রতিপত্তি অনানুষ্ঠানিকভাবে নির্দেশ দিয়েছিল যে কোনও একক শুগো প্রভু শোগুনের ক্রোধের শিকার না হয়ে ক্ষমতার একটি নির্দিষ্ট স্তর অতিক্রম করবেন না। এটি শুগো প্রভুদের নিজেদের স্বার্থেই ছিল যে তাদের নিজস্ব সহকর্মীদের কেউই বাকিদের উপর খুব বেশি শক্তিশালী এবং প্রভাবশালী হয়ে উঠবে না (ভার্লি ১৯৬৭: ৬৩-৬৪)।
এই নীতি অনুসরণ করে ১৩৮৯ সালে যোশিমিতসু মিনো, আইসে এবং ওওয়ারি প্রদেশের শুগো প্রভু টোকি ইয়াসুয়ুকিকে পরবর্তী প্রদেশটি এক আত্মীয়ের কাছে ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। ইয়াসুয়ুকি প্রত্যাখ্যান করেছিলেন এবং যোশিমিতসু ইয়াসুয়ুকির চাচাতো ভাই ইয়োরিমাসুকে তাকে আক্রমণ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। তিন বছর পরে ইয়াসুয়ুকি পরাজিত হন এবং ১৩৯১ সালে মিনো প্রদেশটি টোকি ইয়োরিমাসুকে ছেড়ে দেন (পাপিনোট ১৯৭২: ৬৫৯)। ইয়োশিমিতসুর কাছে যে প্রদেশটি ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল তা মিনো বা ওওয়ারি ছিল কিনা তা বিবেচ্য ছিল না যতক্ষণ না টোকি ইয়াসুয়ুকি কেন্দ্রীয় প্রদেশগুলোতে তার কিছু ক্ষমতা ছিনিয়ে নিয়েছিল।
১৩৯১ সালে মেইতোকু রাইজিং (রান) এর আগে, ইয়ামানা পরিবারের পশ্চিম ও মধ্য জাপানের এগারোটি প্রদেশ ছিল। এটি তাদেরকে দেশের সবচেয়ে শক্তিশালী শুগো পরিবারে পরিণত করেছিল। যোশিমিতসু তাদের আক্রমণ করার জন্য একটি অজুহাত খুঁজছিলেন। যখন ইয়ামানা মিতসুয়ুকি (যিনি ইজুমো, তাম্বা, হোকি এবং ওকি প্রদেশগুলোর উপর শুগো ছিলেন) ইজুমোতে রাজকীয় পরিবারের কিছু সম্পত্তি দখল করেছিলেন, যোশিমিতসু মিতসুয়ুকির বিরুদ্ধে অভিযানের পরিকল্পনা করার জন্য প্রাক্তন-কানরেই হোসোকাওয়া ইয়োরিয়ুকিকে স্মরণ করেছিলেন (পাপিনোট ১৯৭২: ৭৪৪)। ইয়ামানা শুগো প্রভু মিতসুয়ুকি এবং উজিকিও কিয়োতো আক্রমণ করেছিলেন, কিন্তু ওউচি যোশিহিরোর বাহিনীর সাথে কনসার্টে শোগুনাল সেনাবাহিনীর কাছে মারাত্মকভাবে পরাজিত হয়েছিলেন (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ৩০,১০৭; গ্রসবার্গ ১৯৮১: ৩০,১০৭; গ্রসবার্গ ১৯৮১: ৩০,১০৭)। আর্নেসেন ১৯৭৯: ৮২)। শোগুনের বাহিনী গঠিত অন্যান্য শুগো দলগুলোর প্রত্যেকের সংখ্যা তিন শতাধিক ঘোড়সওয়ারের বেশি ছিল না (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ১০৭)। অভিযানের পর ইয়ামানাকে কেবল দুটি প্রদেশ বরাদ্দ করা হয়েছিল, তাজিমা এবং হকি, এবং বিদ্রোহের নেতাদের হত্যা করা হয়েছিল, যুদ্ধে উজিকিও এবং ১৩৯৫ সালে হত্যার মাধ্যমে মিতসুইউকি (পাপিনোট ১৯৭২: ৭৪৪)। ১৩৯৯ সালে এক শুগো প্রভুর বিরুদ্ধে আরেক শুগো লর্ডের এই দাঁড় তুঙ্গে ওঠে। হাস্যকরভাবে, এবার লক্ষ্যবস্তু ছিল ওউচি ইয়োশিহিরো, যিনি ইয়ামানার বিরুদ্ধে প্রচারণায় শাসকদের ভালভাবে সেবা করেছিলেন। যোশিহিরোকে ১৩৯৭ সালে শোনি আক্রমণ করার আদেশ দেওয়া হয়েছিল যা তিনি করেছিলেন, প্রক্রিয়াটিতে তার ভাইকে হারিয়েছিলেন। পরে তিনি যোশিমিতসুর বাইজেন্টাইন দ্বিচারিতা সম্পর্কে শিখেছিলেন: শোনিকেও ওচি আক্রমণ করার আদেশ দেওয়া হয়েছিল। এই দ্বিচারিতায় ক্ষুব্ধ হয়ে এবং শোগুন যখন তাকে কিয়োতোতে ডেকে পাঠায় তখন তার জীবনের ভয়ে তিনি অবাধ্য হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ৩২)। অবাক হওয়ার কিছু নেই যে, শাসকগোষ্ঠী তাকে শত্রু ঘোষণা করেছিল। এ সাকাইয়ের যুদ্ধ, যোশিমিতসু পাঁচটি শুগো প্রভুর বাহিনী, হোসোকাওয়া, আকামাতসু, কিয়োগোকু, শিবা এবং হাতাকিয়ামার বাহিনী সহ শহরে আগুন লাগিয়ে যোশিহিরোর প্রতিরক্ষামূলক কাজগুলোকে অভিভূত করেছিল (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ৩৩; গ্রসবার্গ ১৯৮১: ৩৩)। সানসোম ১৯৬১: ১৪৯)। যোশিমিতসুর নেতৃত্বে মিত্র বাহিনী ওচির ৫,০০০ যোদ্ধার বিপরীতে ৩০,০০০ যোদ্ধা ছিল: যোশিহিরো কেবল যুদ্ধে অভিভূত হয়েছিলেন যেখানে তিনি আত্মহত্যা করেছিলেন (আর্নেসেন ১৯৭৯: ৮২,৮৬)। এই পূর্ববর্তী প্রতিটি উদাহরণ যেমন ব্যাখ্যা করে, শোগুনাল আধিপত্য খুব কার্যকর হয়ে ওঠে। এটি শুগো প্রভুদের সহকর্মীদের আক্রমণ ও ধ্বংস করে বিভক্ত করার জন্য ব্যবহৃত হয়েছিল। শোগুনাল আধিপত্য শোগুনাল সেনাবাহিনীর সাথে তাদের বাহিনীকে একত্রিত করতে শুগো প্রভুদের সহযোগিতা ছাড়া সফল হত না। তবে শোগুনাল সেনাবাহিনী এবং শাসকগোষ্ঠীর অন্যান্য ব্যয় নির্বাহের জন্য অর্থ না থাকলে এই জবরদস্তিমূলক নীতি অকল্পনীয় ছিল।
=== রাজস্ব ===
চতুর্দশ এবং পঞ্চদশ শতাব্দীর শেষের দিকে কিয়োতো অর্থনৈতিক কার্যকলাপের জন্য একটি উজ্জ্বল কেন্দ্র ছিল। শোগুন যোশিমিতসুর অধীনে উদ্ভূত বাধ্যতামূলক আবাসিক নীতির সাথে, শুগো প্রভুরা তাদের করদ রাজ্য এবং চাকরদের সাথে শহরের বিশিষ্ট জনগোষ্ঠীতে যুক্ত হয়েছিল যার মধ্যে অভিজাত, রাজকীয় দরবার এবং মুরোমাচি সরকার অন্তর্ভুক্ত ছিল। এটি বিভিন্ন পণ্য ও পরিষেবাদির জন্য একটি বিশাল বাজারে অনুবাদ করেছিল যা শহরের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে উত্সাহিত করেছিল। রাজধানীতে বসবাসকারী শোগুন এবং শুগো প্রভু উভয়ের জন্যই এই বৃদ্ধি গুরুত্বপূর্ণ ছিল: তারা ধারাবাহিকভাবে মহাজনদের সম্পদ (সাকায়া-দোসো) ব্যবহার করেছিল। শোগুন এমনকি তাদের শহরে কর আদায়কারী হিসাবে নিয়োগ করেছিল (কাওয়াই ১৯৭৭: ৭১; গ্রসবার্গ ১৯৮১: ৩৭,৭৮-৮০)। পূর্ববর্তী কামাকুরা শাসন থেকে মুরোমাচি শাসনকে এত আলাদা করে তুলেছিল তার আয়ের ভিত্তি। এর বেশিরভাগ রাজস্ব তার জমি বেস ছাড়াও বাণিজ্যিক কর থেকে এসেছিল।
প্রশাসন বোর্ড (ম্যান্ডোকোরো) মুরোমাচি শাসনের রাজস্ব সম্পর্কিত বিষয়গুলোর জন্য ক্লিয়ারিং হাউস হিসাবে ব্যবহৃত হত। এটি প্রধান আমলাতান্ত্রিক অঙ্গ ছিল যা করের উদ্দেশ্যে শহরের বিভিন্ন বাণিজ্যিক গোষ্ঠীর সাথে শাসনকে সংযুক্ত করেছিল। ১৩৯৩ সালে শাসন সরাসরি মহাজনদের উপর কর আরোপের অধিকারকে বৈধ করে (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ৭৮,৯৫-৬)। কিয়োতোতে মূল্যায়ন করা বাণিজ্যিক করগুলো নতুন নগর ভিত্তিক মুরোমাচি শাসনের ভিত্তি হয়ে ওঠে এবং সিদ্ধান্তমূলকভাবে শাসনব্যবস্থার প্রকৃতিকে কেবলমাত্র জমিদার সম্পত্তির উপর ভিত্তি করে একটি শাসনব্যবস্থায় পরিবর্তন করে আংশিকভাবে বাণিজ্য ভিত্তিক একটি শাসনব্যবস্থায় পরিণত করে।
ঐতিহ্যবাহী কৃষিভিত্তিক রাজস্ব তিনটি প্রধান উৎস থেকে আসত: শোগুনাল এস্টেট থেকে, শোগুনাল সামন্ত থেকে এবং শুগো প্রভুদের বিরুদ্ধে নির্ধারিত কর থেকে। আশিকাগা শোগুনদের অবতরণ ঘাঁটি তাদের উত্তরসূরিদের তুলনায় নগণ্য ছিল, টোকুগাওয়া; তবে কিয়োতো এবং কান্টো অঞ্চলের মধ্যে প্রায় দুই শতাধিক শোগুনাল এস্টেট (গরিওশো) ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল এবং এই এস্টেটগুলো থেকে উত্তোলিত রাজস্ব উল্লেখযোগ্য ছিল (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ৭০-৩)। তদুপরি, শোগুনাল এস্টেট এবং শোগুনাল সেনাবাহিনীর মধ্যে সংযোগ নির্ধারক ছিল: সেনাবাহিনীতে দায়িত্ব পালনকারী কিছু পুরুষ শোগুনের ব্যক্তিগত সম্পত্তির পরিচালকও ছিলেন (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ১১২)। তদুপরি, অনেক স্থানীয় সামুরাই সরাসরি শাসনকে (কিয়োসাই) ভূমি কর প্রদান করেছিল যা তারা হাউস করদ রাজ্য (গোকেনিন) হিসাবে উপভোগ করেছিল, প্রক্রিয়াটিতে শুগো ট্যাক্স সংগ্রহকারীদের কাছ থেকে টিকা দেওয়া হয়েছিল (গ্রসবার্গ ১৯৮১; গ্রসবার্গ ১৯৮১)। উপরন্তু, শুগো প্রভুদের সরাসরি কর আদায় করা হয়েছিল (শুগো শুসেন) তারা কতগুলো প্রদেশ পরিচালনা করেছিল সে অনুসারে। যখনই কোনও বিল্ডিং তৈরি বা ঠিক করার জন্য ছিল এবং যখন শোগুনের বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য নগদ অর্থের প্রয়োজন হয়েছিল তখন শাসকরা এটি মূল্যায়ন করেছিল (কাওয়াই ১৯৭৭: ৭১; কাওয়াই ১৯৭৭: ৭১)। গ্রসবার্গ ১৯৮১: ৭৪)। কিয়োতো এবং ইয়ামাশিরো প্রদেশের উদীয়মান বাজার অর্থনীতির কারণে মুরোমাচি শাসনের রাজস্বের উত্সগুলো কামাকুরা শাসনের চেয়ে অনেক বেশি পরিমাণে বৈচিত্র্যময় ছিল। এটি মহাজনদের কাছ থেকে বাণিজ্যিক রাজস্ব আদায় হিসাবে অভিনব আকারে এসেছিল (সাকায়া দোসো): মুরোমাচি আমলাতন্ত্রের ক্ষমতা কাঠামো কার্যকরভাবে কিয়োতো শহরটি দখল করার পরে একটি কর মূল্যায়ন করা হয়েছিল।
== দক্ষিণ দরবারের সম্রাট ==
* সম্রাট গো-দাইগো「後醍醐天皇」(১২৮৮–১৩৩৯, রাজত্বকাল ১৩১৮–১৩৩৯)
* সম্রাট গো-মুরাকামি「後村上天皇」(১৩২৮–১৩৬৮, রাজত্বকাল ১৩৩৯–১৩৬৮))
* সম্রাট চোকেই「長慶天皇」((১৩৪৩–১৩৯৪, রাজত্বকাল ১৩৬৮-১৩৮৩)
* সম্রাট গো-কামেয়ামা「後亀山天皇」(১৩৪৭-১৪২৪, রাজত্বকাল ১৩৮৩-১৩৯২)
== উত্তর দরবারের সম্রাট ==
* উত্তর আশিকাগা দাবিদার ১: সম্রাট কোগন「光厳天皇」(১৩১৩–১৩৬৪, রাজত্বকাল ১৩৩১–১৩৩৩)
* উত্তর আশিকাগা দাবিদার ২: সম্রাট কোমিয়ো「光明天皇」(১৩২২–১৩৮০, রাজত্বকাল ১৩৩৬–১৩৪৮)
* উত্তর আশিকাগা দাবিদার ৩: সম্রাট সুকো「崇光天皇」(১৩৩৪–১৩৯৮, রাজত্বকাল ১৩৪৮–১৩৫১)
* অন্তর্বর্তীকাল, নভেম্বর ২৬, ১৩৫১ থেকে ২৫ সেপ্টেম্বর, ১৩৫২ পর্যন্ত
* উত্তর আশিকাগা দাবিদার ৪: সম্রাট গো-কোগন「後光厳天皇」(১৩৩৮–১৩৭৪, রাজত্বকাল ১৩৫২–১৩৭১)
* উত্তর আশিকাগা দাবিদার ৫: সম্রাট গো-এন'ইউ「後円融天皇」(১৩৫৯–১৩৯৩, রাজত্বকাল ১৩৭১–১৩৮২)
10faxn2wvzhzzq3zozc6f71bh2y1yav
84431
84430
2025-06-16T18:05:03Z
NusJaS
8394
/* শুগো প্রভুদের উত্থান */
84431
wikitext
text/x-wiki
নানবোকু-চো যুগ (南北朝時代, নানবোকু-চো জিদাই) ১৩৩৬ সাল থেকে ১৩৯২ সাল পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। এটি মুরোমাচি যুগের একটি অংশ ছিল।
এই সময়ে দুটি সাম্রাজ্যীয় দরবার ছিল। এরমধ্যে কিয়োতোতে আশিকাগা তাকাউজি প্রতিষ্ঠা করেছিল উত্তর সাম্রাজ্যীয় দরবার; এবং সম্রাট গো-দাইগো ইয়োশিনোতে প্রতিষ্ঠা করেছিল ক্ষিণ সাম্রাজ্যীয় দরবার।
মতাদর্শগতভাবে, এই দুই দরবার প্রায় পঞ্চাশ বছর ধরে সংঘর্ষে লিপ্ত ছিল। তবে ১৩৯২ সালে দক্ষিণ দরবার উত্তর দরবারের কাছে আত্মসমর্পণ করে। বাস্তবে উত্তর রাজবংশ ছিল আশিকাগা শোগুনদের নিয়ন্ত্রণাধীন এবং তাদের বাস্তবিক স্বাধীনতা খুবই সীমিত ছিল।
উনবিংশ শতাব্দী থেকে শুরু করে দক্ষিণ দরবারের সম্রাটদের জাপানের বৈধ সম্রাট হিসেবে গণ্য করা হয়। এর পেছনে কিছু কারণ ছিল—দক্ষিণ দরবারের হাতে জাপানি সম্রাজ্ঞী রাজমুকুট ও প্রতীকগুলোর নিয়ন্ত্রণ, এবং কিতাবাতাকে চিকাফুসার লেখা ''জিন্নো শোতোকি'' ছিল। এটি তাদের পরাজয়ের পরেও দক্ষিণ দরবারের বৈধতাকে সমর্থন করেছিল।
এই সময়কালের ঘটনাগুলোর প্রভাব এখনও আধুনিক জাপানের প্রচলিত দৃষ্টিভঙ্গিতে সম্রাট ব্যবস্থা (তেননো সেইকা) প্রভাবশালী হতে থাকে। রাষ্ট্রীয় শিন্তো ধর্মের প্রভাবে ১৯১১ সালের ৩ মার্চ জারিকৃত এক সাম্রাজ্যীয় ডিক্রিতে এই সময়ের বৈধ রাজাদের দক্ষিণ দরবারের সদস্য বলেই ঘোষণা করা হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর, কুমাজাওয়া হিরোমিচি থেকে শুরু করে একদল দাবিদার নিজেদের দক্ষিণ দরবার থেকে বংশোদ্ভূত দাবি করে এবং উত্তর দরবার থেকে আসা রাজবংশের আধুনিক সাম্রাজ্যীয় ধারার বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে।
১৩৩৩ সালে কামাকুরা শোগুনাতের পতন এবং ১৩৩৬ সালে কেম্মু পুনর্গঠনের ব্যর্থতা নতুন শাসনব্যবস্থার বৈধতা নিয়ে সংকট তৈরি করে। পাশাপাশি, অভিজাত এবং যোদ্ধাদের আয়ের ভিত্তি জমিদারি ব্যবস্থায় (শোয়েন) কাঠামোগত পরিবর্তন সমাজের বিভিন্ন শ্রেণির অবস্থান পরিবর্তনে বড় ভূমিকা রাখে। নানবোকু-চো যুদ্ধের মধ্য দিয়ে যে মুরোমাচি শাসন ব্যবস্থা উদ্ভূত হয়, তা যোদ্ধা শ্রেণির অর্থনৈতিক ভিত্তিকে প্রসারিত করে। তবে অভিজাত মালিকদের ক্ষমতা হ্রাস করে। এটি কামাকুরা বাকুফুর সময় থেকেই শুরু হয়েছিল।
== কামাকুরা বাকুফুর পতন ==
গৃহযুদ্ধের সূচনায় অবদান রাখা প্রধান কারণ ছিল—হোজো পরিবার ও অন্যান্য যোদ্ধা গোষ্ঠীর মধ্যে ক্রমবর্ধমান বিরোধ। এটি ১২৭৪ এবং ১২৮১ সালের মঙ্গোল আক্রমণের পর থেকে বৃদ্ধি পায়। এছাড়াও আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ ছিল কেম্মু পুনর্গঠনের ব্যর্থতা। এটি সম্রাট-অনুগামী ও আশিকাগা গোষ্ঠীর সমর্থকদের মধ্যে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করে।
১৩শ শতাব্দীর শেষদিকে হোজো-নেতৃত্বাধীন কামাকুরা শাসনের প্রতি যোদ্ধাদের মধ্যে অসন্তোষ বৃদ্ধি পায়। এই অসন্তোষের মূল কারণ ছিল, হোজোদের অন্যান্য যোদ্ধা পরিবারগুলোর ওপর ক্রমবর্ধমান আধিপত্য বিস্তার। বিশেষ করে হোজো তোকিমুনের (১২৬৮–১২৮৪) শাসনকালে মঙ্গোল সংকটের সময় এই কেন্দ্রীয়করণ আরও প্রকট হয়। সে সময়ে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটে: হোজো পরিবারে রাজ্য পরিষদে নিয়োগ বৃদ্ধি পায়; হোজোদের ব্যক্তিগত পারিবারিক পরিষদই প্রধান সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী সংস্থা হয়ে ওঠে; এবং হোজোর সরাসরি অধীনস্থ করদ রাজ্যগুলো ক্রমবর্ধমানভাবে শুগো (প্রাদেশিক গভর্নর) হিসেবে উন্নীত করা হয়। এর ফলে তারা কেবলমাত্র নিজেদের পরিবারের সদস্য ও সরাসরি অধীনস্ত করদ রাজ্যগুলোর অন্তর্ভুক্ত করার ফলে বৃহত্তর ভিত্তির সমর্থন হারায়। ১৩৩১ সালে হোজোর বিরুদ্ধে এক জোট গঠিত হলে তার শাসনব্যবস্থার পতন ঘটাতে মাত্র দুই বছর সময় লেগেছিল।
ত্রয়োদশ শতাব্দীর শেষের দিকে যোদ্ধাদের মধ্যে হোজো-নেতৃত্বাধীন কামাকুরা শাসনের প্রতি অসন্তোষ দেখা দেয়। এই বিরক্তি শাসনের মধ্যে অন্যান্য যোদ্ধা পরিবারের উপর হোজোর প্রভাবের কারণে ঘটেছিল। হোজো টোকিমুনের রাজত্বকালে (১২৬৮-১২৮৪ খ্রিষ্টাব্দ) ক্ষমতার এই কেন্দ্রীকরণের পেছনে মঙ্গোল আক্রমণ মূল কারণ ছিল। সঙ্কটের সময়, তিনটি জিনিস ঘটেছিল: হোজো পরিবারের কাউন্সিল অফ স্টেটে নিয়োগ বেড়েছে; হোজো প্রাইভেট ফ্যামিলি কাউন্সিল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী সংস্থা হয়ে ওঠে। হোজোর সরাসরি শুগো পোস্টে উন্নীত হয়েছিল। তারা মূলত সমর্থনের বিস্তৃত ভিত্তির ব্যয়ে কেবল হোজো পরিবারের সদস্য এবং সরাসরি অন্তর্ভুক্ত করে তাদের নির্বাচনী এলাকাগুলোকে সংকীর্ণ করেছিল। ১৩৩১ সালে যখন হোজোর বিরুদ্ধে একটি জোট গঠিত হয়,
তখন কৃষিভিত্তিক সমাজে সম্পদের মূল উৎস ছিল জমি, এবং মধ্যযুগীয় জাপানেও এর ব্যতিক্রম ছিল না। প্রকৃতপক্ষে, যোদ্ধা শ্রেণির মধ্যে বেশিরভাগ অসন্তোষের মূল কারণ ছিল জমি। মিনামোতো গোষ্ঠীর উত্থানের পর থেকে যুদ্ধজয়ের পুরস্কার হিসেবে ভূমি দান ছিল যোদ্ধাদের জন্য একটি স্বীকৃত প্রথা। কিন্তু মঙ্গোল আক্রমণ ছিল ব্যতিক্রম, কারণ এটি বিদেশী শত্রুর বিরুদ্ধে দেশরক্ষার যুদ্ধ ছিল, অন্য কোনও যোদ্ধা গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে নয়। ফলে বিদেশী শত্রুর পরাজয়ের পরে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার হিসেবে তুলে দেওয়ার মতো কোনও জমি ছিল না। এই পরিস্থিতি বিশেষভাবে কঠিন ছিল সেই যোদ্ধাদের জন্য, যারা বীরত্বের সাথে যুদ্ধ করেছিল এবং জমির জন্য হোজো শাসকদের কাছে আবেদন করেছিল। চতুর্দশ শতাব্দীর শুরুতেই এই অসন্তোষ নতুন যে কোনও শাসন ব্যবস্থার ওপর প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি করেছিল। এই শ্রেণিকে সন্তুষ্ট না করতে পারলে নতুন শাসনের স্থায়িত্ব ছিল অনিশ্চিত।
নানবোকু-চো যুদ্ধ ছিল একটি মতাদর্শগত লড়াই—একদিকে ছিল যারা সম্রাটের পুনঃস্থাপন চেয়েছিল, অন্যদিকে ছিল যারা কামাকুরা শাসনের আদলে একটি নতুন যোদ্ধা শাসন প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিল। যেন জাপানের ইতিহাসের পূর্ববর্তী হেইয়ান ও কামাকুরা যুগের মধ্যে মতাদর্শগত সংঘর্ষ ঘটছিল। কিতাবাতাকে চিকাফুসার মতো অভিজাত যোদ্ধারা বুঝতে পারতেন যে পুনর্গঠনে যোদ্ধাদের অংশগ্রহণ প্রয়োজন, তবে মতাদর্শগত স্তরে তাকাউজির সঙ্গে তার তীব্র মতভেদ ছিল, যা ভবিষ্যতের নেতৃত্বেও প্রভাব ফেলেছিল। যুদ্ধের মধ্যেই তৈরি হয় নতুন মুরোমাচি শাসন, যা কেম্মু পুনর্গঠনের ব্যর্থতার সরাসরি ফলাফল ছিল।
== অনুগত সম্পর্ক ও মুরোমাচি বাকুফুর উত্থান ==
উভয় পক্ষের মধ্যে তীব্র লড়াই প্রায় ত্রিশ বছর ধরে চলে। এর পর নতুন যোদ্ধা শাসনের সমর্থকরা আধিপত্য লাভ করে। আশিকাগা তাকাউজি ক্ষমতা কেন্দ্রীকরণের জন্য তিনটি মূল নীতি অনুসরণ করেন:
১. হানজেই বা অর্ধেক কর নীতি, যা জমিদার জমি ভাগ করে দেয়;
২. সামুরাই অনুগতদের (গোকেনিন) সঙ্গে অনুগত্য সম্পর্ক;
৩. শুগো প্রভুদের বাকুফু গভর্নর ও প্রাদেশিক সামন্ত হিসেবে ব্যবহার (এটি পরে বিস্তারিতভাবে আলোচিত)।
এই দুই কাঠামো—সামুরাই অনুগত্য ও শুগো নিয়ন্ত্রণ ১৩৫০-এর দশকে শাসন প্রতিষ্ঠার পর গড়ে ওঠে এবং শোগুনের ক্ষমতা নির্ধারণে মুখ্য ভূমিকা রাখে। প্রশাসনিক কাঠামোগুলো বোঝা কঠিন, কারণ কান্নো বিশৃঙ্খলার পর প্রাথমিক প্রশাসনে ব্যাপক পরিবর্তন আসে। এগুলোর অধিকাংশই কিয়োতো ও ইয়ামাশিরো প্রদেশেই সীমাবদ্ধ ছিল।
=== কামাকুরা থেকে মুরোমাচি পর্যন্ত জমিদারি (শোয়েন) ব্যবস্থার বিবর্তন ===
হানজেই অর্ধ কর নীতিটি সরাসরি ও তীব্র: এটি এস্টেট জমিতে সামুরাই আক্রমণের বৈধতা স্বীকৃতি দেওয়ার একটি কঠোর নীতি ছিল। কিন্তু একই সঙ্গে এস্টেট বা জমিদারি ব্যবস্থার অস্তিত্ব রক্ষা করার নিশ্চয়তা দিয়েছিল।
এস্টেট সিস্টেম কীভাবে পরিবর্তিত হয়েছিল তা পরীক্ষা করার জন্য আমাদের প্রথমে কামাকুরা আমলের দিকে তাকাতে হবে। সামুরাই স্টুয়ার্ড (জিতো) এবং কামাকুরা শাসনের (১১৮৫-১৩৩৩ খ্রিষ্টাব্দ) মধ্যে করদ সম্পর্ক মধ্যস্থতাকারী ছিল। কারণ তারা সামুরাই স্টুয়ার্ডকে (জিতো) এমন একটি অবস্থানে রেখেছিল যেখানে তিনি একই সাথে কামাকুরা এবং কিয়োতো উভয়ের কাছেই জবাবদিহি করেছিলেন। সামুরাই হিসাবে নির্বাচিত হয়ে তাকে একটি কল্পিত আত্মীয়তার বন্ধনে তার বাড়ির সদস্য হিসাবে শোগুনের সাথে সরাসরি করদ সম্পর্কের মধ্যে রাখা হয়েছিল। স্টুয়ার্ড হিসাবে সামুরাই একজন শোগুনাল হাউসম্যান (গোকেনিন) এবং বিশ্বস্ত করদ রাজা হয়েছিলেন। তিনি এমন একটি এস্টেটের পরিচালনার ভার পেয়েছিলেন, যা আইনত কিয়োতোতে একজন আভিজাত্যের মালিকানাধীন ছিল (ভার্লি ১৯৬৭: ২২-৫)। এখানেই কামাকুরা করদ সম্পর্কের মধ্যস্থতাকারী প্রকৃতি রয়েছে। কামাকুরায় যোদ্ধা শাসনের সামন্ত হিসাবে তিনি সামরিক পরিষেবা এবং বকেয়া আকারে শোগুনের কাছে জবাবদিহি করেছিলেন। তবে একজন অভিজাতের মালিকানাধীন এস্টেটের পরিচালক হিসাবে তাকে পরবর্তীকালে খাজনা দিতে হয়েছিল। আমরা প্রথমে কামাকুরা করদ রাজ্য হিসাবে সামুরাই স্টুয়ার্ডের প্রকৃতি পরীক্ষা করব এবং তারপরে আশিকাগা তাকাউজির অধীনে উদ্ভূত করদ বন্ধনগুলো পরীক্ষা করব।
কামাকুরা শাসন ব্যবস্থার স্থায়িত্ব শাসকদের প্রভাবশালী যোদ্ধাদের পরিচালনার অধিকার (জিতো শিকি) এবং অভিজাত মালিকের খাজনা ও জমির মালিকানার অধিকারের গ্যারান্টির উপর নির্ভর করেছিল। সামুরাই স্টুয়ার্ডদের সাথে করদ সম্পর্কের মাধ্যমে, নতুন যোদ্ধা শাসনকে পুরানো এস্টেট সিস্টেমে স্থাপন করা হয়েছিল। প্রক্রিয়াটিতে আপস্টার্ট যোদ্ধা এবং অভিজাতদের মধ্যে সুপ্ত থাকা দ্বন্দ্বমূলক প্রবণতাগুলোর সেতুবন্ধন সৃষ্টি করেছিল।
যেসব সামুরাই স্টুয়ার্ডদের শোগুন বা হোজো রিজেন্টদের সাথে সরাসরি করদ সম্পর্ক ছিল, তারা হাউজকিপার (গোকেনিন) নামেও পরিচিত ছিল। কামাকুরা গোকেনিনের ঐতিহ্য একটি মর্যাদাপূর্ণ ঐতিহ্য ছিল এবং মুরোমাচি যুগে যা ঘটেছিল তার নজির স্থাপন করেছিল। ইয়োরিতোমো এবং হোজো রিজেন্টরা কেবল তাদের নিজস্ব গোকেনিনদের নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে উদ্বিগ্ন ছিল। তারা সচেতনভাবে তাদের নিজস্ব করদ রাজ্যগুলোর জমি বিরোধের মামলা শোনার মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল এবং তাদের অনুসারীদের স্টুয়ার্ডশিপ অধিকারকে পুরস্কৃত করেছিল। এটি অন্যান্য গোষ্ঠীর অন্যান্য বিরোধগুলো নাগরিক প্রশাসন দ্বারা যত্ন নেওয়া যেতে দেয়। এই নজিরটি আশিকাগা শোগুনরা অনুসরণ করেছিল।; কারণ তারা মুরোমাচি আমলে শুগো প্রভুদের আক্রমণের বিরুদ্ধে তাদের দেশের করদ রাজ্যগুলোর স্বার্থ রক্ষার চেষ্টা করেছিল।
শুগোকে কেবল প্রদেশগুলোর প্রভু হিসাবে আরও ক্ষমতা দেওয়া হয়নি। তাকাউজি এস্টেট জমি বিভক্ত করার জন্য যে অর্ধ কর নীতি (হানজেই) ব্যবহার করেছিলেন তা সামুরাই যোদ্ধাদের মালিকানাধীন জায়গীরের সংখ্যা বহুগুণ বাড়িয়ে তুলেছিল। তবে তাকাউজি আরও এগিয়ে যেতে পারতেন যদি তিনি তাঁর বিশ্বস্ত জেনারেলদের পরামর্শ অনুসরণ করতেন। কো ভাইয়েরা সম্পত্তি পুরোপুরি সরিয়ে দিতে চেয়েছিলেন। এস্টেট সিস্টেমের পুনর্বিন্যাসে যোদ্ধাদের স্বার্থ প্রাধান্য পেয়েছিল। তবে মহৎ স্বার্থ তখনও সংরক্ষিত ছিল। এস্টেট সিস্টেম সংরক্ষণে সহায়তা করার ক্ষেত্রে, অর্ধেক করের পরিমাপ এমন একটি নীতি ছিল যা তখনও যোদ্ধার অধিকারের সাথে আভিজাত্যের অধিকারকে সংযুক্ত করতে সক্ষম হয়েছিল।
অর্ধ কর নীতি যুদ্ধের সময় সংগৃহীত সামরিক রেশন (হায়রোরিয়োশো) এর জন্য মনোনীত জরুরি কর হিসাবে শুরু হয়েছিল: মিনো, ওমি এবং ওওয়ারি প্রদেশের নির্দিষ্ট উপাসনালয়, সমাধি এবং এস্টেট জমি থেকে অর্ধেক আয় মুরোমাচি শাসনের সেনাবাহিনীকে সমর্থন করার জন্য নেওয়া হবে। ক্রমবর্ধমানভাবে, এটি পুনরায় ব্যাখ্যা করা হয়েছিল এবং তাকাউজি দ্বারা করদ রাজ্যগুলোর প্রয়োগের উদ্দেশ্যে অর্ধেক জমির স্থায়ী অধিগ্রহণ হিসাবে পরিবর্তন করা হয়েছিল। এটি ছিল পূর্ববর্তী অনুশীলন থেকে আমূল প্রস্থান। উপরে উল্লিখিত হিসাবে, কামাকুরা আমলে, বেশিরভাগ জমি, বিশেষত হোনশুর কেন্দ্রীয় ও পশ্চিম প্রদেশগুলোতে, অভিজাতদের মালিকানাধীন ছিল। তবে কামাকুরা হাউস করদ রাজ্যগুলোর দ্বারা স্টুয়ার্ডশিপ (জিতো শিকি) হিসাবে পরিচালিত হয়েছিল। এটি এস্টেট প্রতিষ্ঠানে একত্রে অভিজাতদের স্বার্থ এবং যোদ্ধাদের স্বার্থ উভয়কেই একত্রিত করেছিল। অর্ধ কর ব্যবস্থার আবির্ভাবের সাথে সাথে তাকাউজি সম্পত্তির অর্ধেক জমি মহৎ নিয়ন্ত্রণ থেকে সরিয়ে তার যোদ্ধাদের জায়গীরে দিচ্ছিলেন।
=== স্থানীয় সামুরাই (কোকুজিন) এর উত্থান ===
নানবোকু-চো দ্বন্দ্ব শুরু হলে করদ সম্পর্ক আরও গুরুতর হয়ে ওঠে। সামন্তদের আনুগত্য একটি বড় বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তুলনামূলকভাবে শান্তিপূর্ণ কামাকুরা সময়কালে, সামরিক দক্ষতাগুলো প্রিমিয়ামে রাখা হয়নি। তবে গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পরে এই মানদণ্ডটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে (ভর ১৯৮৯: ১১৩-৪,১১৭)। ১৩৩৬ পরবর্তী পরিবেশের করদ সম্পর্কগুলোতে একটি নতুন মধ্যস্থতাকারী বিবেচনা উদ্ভূত হয়েছিল: আনুগত্যের প্রয়োজন এবং প্রভু এবং করদ রাজ্যের মধ্যে একটি শক্ত বন্ধন। প্রতিদ্বন্দ্বীদের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তার ফলস্বরূপ শোগুন এবং তার করদ রাজ্যগুলোর মধ্যে দৃঢ় সম্পর্ক আবির্ভূত হয়েছিল। করদ সম্পর্ক হয় আশিকাগা দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল বা আশিকাগার প্রতি অনুগত উদীয়মান শুগো প্রভুদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত অন্য যোদ্ধা শ্রেণিবিন্যাসের কাছে সম্ভাব্য যোদ্ধা হারানোর ঝুঁকি ছিল এবং সবচেয়ে খারাপ প্রতিদ্বন্দ্বী সাম্রাজ্যবাদী জেনারেলদের দ্বারা। সুতরাং, সত্যিকার অর্থে, গৃহযুদ্ধের সময়কালে যোদ্ধা নিয়োগের মাধ্যমে সম্ভাব্য দ্বন্দ্ব দূর করতে করদ বন্ধন ব্যবহার করা হয়েছিল।
একই সময়ে সামুরাই এবং শোগুনের মধ্যে করদ বন্ধন শক্ত হয়েছিল, এই সম্পর্কগুলোর বৈধতা কঠোরভাবে পরীক্ষা করা হয়েছিল। এই আপাত বৈপরীত্যটি যৌক্তিকভাবে সামুরাই আনুগত্যের অনেক দাবির অস্তিত্ব দ্বারা ব্যাখ্যা করা হয়েছে যা উপস্থাপিত হয়েছিল: প্রতিদ্বন্দ্বী সাম্রাজ্যবাদী জেনারেল, শুগো প্রভু এবং এমনকি স্থানীয় সামুরাই জোটের প্রতি।
কয়েকটি উদাহরণ শোগুন আশিকাগা তাকাউজি এবং তার নতুন গোকেনিনদের মধ্যে করদ সম্পর্কের উত্থানকে চিত্রিত করবে। ১৩৩৬ সালে তাকাউজি কিউশুতে পশ্চাদপসরণ করার পরে আকি প্রদেশে আশিকাগা স্বার্থ রক্ষার দায়িত্ব পেলে কোবায়াকাওয়া পরিবার অনুগত করদ রাজ্য হয়ে ওঠে (আর্নেসেন ১৯৮৫: ১০৮)। আরেকটি আকি সামুরাই পরিবার মোরি বংশ, ১৩৩৬ সালে তাকাউজির করদ রাজ্য হয়ে ওঠে এবং কান্নো ঘটনার প্রাদুর্ভাব না হওয়া পর্যন্ত কো মোরোয়াসুর অধীনে দায়িত্ব পালন করে। ১৩৫০ এর দশকে মোরি তাকাউজি তাদায়োশি এবং তার দত্তক পুত্র তাদাফুয়ুর শত্রুদের পক্ষে ছিল এবং ১৩৬০ এর দশক পর্যন্ত তারা আবার শোগুনের করদ রাজ্য হিসাবে ফিরে আসেনি (আর্নেসেন ১৯৮৫: ১১৪-৫)। কাওয়াশিমা বংশ এবং কিয়োতোর নিকটবর্তী অন্যান্য যোদ্ধা পরিবারগুলোর সাথে করদ সম্পর্ক ১৩৩৬ সালের গ্রীষ্মে তাকাউজি রাজধানী পুনরায় দখলের অভিযানে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তাকাউজির স্বাক্ষর বহনকারী করদের শর্তাদি সম্পর্কিত একটি নথির কারণে কাওয়াশিমা মামলাটি যথেষ্ট আগ্রহের বিষয়: তারা কাওয়াশিমা এস্টেটের অর্ধেকেরও বেশি স্টুয়ার্ডশিপ অধিকারের (জিতো শিকি) জন্য সামরিক পরিষেবা বিনিময় করবে, বাকি অর্ধেকটি ভাড়া আকারে অভিজাত মালিকের দখলে রেখে দেবে।
=== কান্নো ঘটনা এবং ১৩৫০ এর দশকে দক্ষিণ দরবারের পুনরুত্থান ===
=== ঘটনাবলী ===
তাকাউজি নামমাত্র শোগুন ছিলেন। দশ বছরেরও বেশি সময় ধরে তাদায়োশি তার জায়গায় শাসন করেছিলেন। দুই ভাইয়ের মধ্যে সম্পর্ক অবশ্য "কান্নো ঘটনা" নামে একটি অত্যন্ত গুরুতর পর্বের মাধ্যমে ধ্বংস হয়েছিল। এটি এমন একটি ঘটনা যা কান্নো যুগ (১৩৫০-১৩৫১) থেকে নামকরণ করা হয়েছে। এই সময়েই দুই ভাইয়ের মধ্যে বিভেদের ঘটনাটি ঘটেছিল। এটি পুরো দেশের জন্য খুব গুরুতর পরিণতি বয়ে আনে। তাকাউজি কো নো মোরোনাওকে তার শিটসুজি বা ডেপুটি বানানোর ফলেই দুজনের মধ্যে ঝামেলা শুরু হয়েছিল। তাদায়োশি মোরোনাওকে পছন্দ করতেন না। তাই তাকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার অন্য প্রতিটি প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়ে তাকে হত্যা করার চেষ্টা করেছিলেন। তার এই ষড়যন্ত্র ফাঁস হয়ে যায়। ফলে ১৩৪৯ সালে তাদায়োশি মোরোনাও সরকার ত্যাগ করে মাথা ন্যাড়া হয়ে কেইশিন নামে বৌদ্ধ সন্ন্যাসী হতে বাধ্য হন। ১৩৫০ সালে তিনি বিদ্রোহ করে নিজের ভাইয়ের শত্রুদের সাথে যোগ দেন। সেই শত্রুরা ছিল দক্ষিণ দরবারের সমর্থক। সম্রাট গো-মুরাকামি তাকে তার সমস্ত সৈন্যের জেনারেল নিযুক্ত করেছিলেন। ১৩৫১ সালে তিনি তাকাউজিকে পরাজিত করে কিয়োতো দখল করেকামাকুরায় প্রবেশ করেন। একই বছর তিনি মিকেজে (সেৎসু প্রদেশ) কো ভাইদের বন্দী করে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেন। পরের বছর তার ভাগ্য ঘুরে যায়। তিনি সাত্তায়ামায় তাকাউজির কাছে পরাজিত হন। ভাইদের মধ্যে একটি পুনর্মিলন সংক্ষিপ্ত প্রমাণিত হয়েছিল। তাদায়োশি কামাকুরায় পালিয়ে যান, কিন্তু তাকাউজি সেখানে সেনাবাহিনী নিয়ে তাকে তাড়া করেন। তাইহেইকি অনুসারে ১৩৫২ সালের মার্চ মাসে আপাতদৃষ্টিতে দ্বিতীয় পুনর্মিলনের অল্প সময়ের মধ্যেই তাদায়োশি হঠাৎ বিষক্রিয়ায় মারা যান।
=== পটভূমি ===
মুরোমাচি শাসনকে বিভক্ত করে এমন চরম বিভাজনকারী কান্নো ঘটনা একীকরণকে সাময়িকভাবে আটকে রেখেছিল। যেহেতু এই ঘটনাটি আমলাতান্ত্রিক অন্তর্দ্বন্দ্বের ফলস্বরূপ ঘটেছে, তাই প্রথমে আমলাতান্ত্রিক অঙ্গগুলোর দিকে নজর দেওয়া দরকার, তারপরে দ্বন্দ্বটি কোথায় উত্থিত হয়েছিল তা পরীক্ষা করা দরকার।
প্রাথমিক শাসনের আমলাতান্ত্রিক অঙ্গগুলো আশিকাগা ভাইদের পৃথক এখতিয়ারের অধীনে ছিল। তাকাউজি ও তাদায়োশি একটি দ্বিখণ্ডিত প্রশাসন তৈরি করে। তাকাউজি হাউস করদ রাজ্যগুলোর নেতা ছিলেন এবং এভাবে বোর্ড অফ রিটেইনার্স (সামুরাই ডোকোরো) এবং পুরষ্কার অফিস (ওনশো-কাটা) নিয়ন্ত্রণ করেছিলেন, যখন তাদায়োশি শাসনের বিচারিক কার্যক্রমের উপর তদন্ত বোর্ড নিয়ন্ত্রণকারী আমলাতান্ত্রিক নেতা ছিলেন (সাতো ১৯৭৭: ৪৮; সাতো ১৯৭৭:৪৮)। গ্রসবার্গ ১৯৮১: ২১-২৪)।
রিটেইনার্স বোর্ড হাউস করদ রাজ্যগুলোর প্রতি শৃঙ্খলাবদ্ধ অঙ্গ হিসাবে ব্যবহৃত হয়েছিল: ব্রিগেন্ডেজ এবং অন্যান্য অপরাধের বিচার করা হয়েছিল (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ৮৮,১০৭)। পুরষ্কারের অফিসটি যোগ্য করদ রাজ্যগুলোর দাবি শুনতে এবং বন্দী করার জন্য ব্যবহৃত হয়েছিল। পুরষ্কারের অফিসটি নতুন যোদ্ধাদের তালিকাভুক্ত করতে ব্যবহৃত হয়েছিল যারা শাসনের সম্ভাব্য প্রতিপক্ষ ছিল। প্রধান বিচারিক অঙ্গ, কোডজুটরস বোর্ড, উত্তরাধিকারের সাথে জড়িত সমস্ত জমি বিরোধ মামলা এবং ঝগড়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ৮৮)। সমস্ত বিচারিক কাজগুলো একটি প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর মধ্যে আইনীভাবে দ্বন্দ্ব এবং বিরোধ নিষ্পত্তি করার জন্য ব্যবহৃত হয়। নতুন শাসনের জন্য আমলাদের (বুগিওনিন) পতনের আগে হোজো শাসনের দায়িত্ব পালনকারীদের পদমর্যাদা থেকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ৯০)। তারা মূল্যবান ছিল কারণ তারা পড়তে এবং লিখতে জানত, এমন একটি কাজ যা বেশিরভাগ যোদ্ধাদের নাগালের বাইরে।
১৩৫০ এর দশকে কান্নো ঘটনা এবং এর পরিণতি প্রাথমিক শাসনকে বিভক্ত এবং প্রায় ধ্বংস করে দিয়েছিল (সানসোম ১৯৬১: ৭৮-৯৫)। আপাতদৃষ্টিতে ঘটনাটি তাকাউজির ভাই আশিকাগা তাদায়োশির বিরুদ্ধে কো ভ্রাতৃদ্বয়, মোরোনাও এবং মোরোয়াসুর বিরুদ্ধে তাকাউজির সমর্থিত একটি উপদলীয় লড়াইয়ের মতো দেখায় (উইন্টারস্টিন ১৯৭৪: ২১৫; আর্নেসেন ১৯৭৯: ৫৩-৫৪)। দ্বন্দ্বটি এস্টেট সিস্টেম সম্পর্কে মতামতের পার্থক্য এবং এই ভিন্ন মতামতের পিছনে তাকাউজি ও তাদায়োশি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত বিভিন্ন আমলাতন্ত্রের দিকে ইঙ্গিত করা যেতে পারে। সামগ্রিকভাবে তাকাউজি ছিলেন উদ্ভাবক এবং তাদায়োশি রক্ষণশীলতার ভূমিকা পালন করেছিলেন। তিনি অতীতের নীতিগুলো সংরক্ষণ করতে চেয়েছিলেন। করদ রাজ্য ব্যান্ডের সামরিক নেতা হিসাবে তাঁর ক্ষমতায় তাকাউজি দুটি জিনিস করেছিলেন। এটি তাদায়োশির সাথে সাংঘর্ষিক ছিল: তিনি যুদ্ধক্ষেত্রের বীরত্বের পুরষ্কার হিসাবে শুগো পোস্টগুলোতে করদ রাজ্য নিয়োগ করেছিলেন। এর পাশাপাশি তিনি শোয়েন এস্টেটগুলো ভাগ করে দিয়েছিলেন। এর অর্ধেক তার করদ রাজ্যগুলোর ফিফ বা স্টুয়ার্ডশিপ হিসাবে দিয়েছিলেন। তাদায়োশি কেম্মু ফর্মুলারি খসড়া তৈরির মাধ্যমে এই নীতিগুলোর কঠোরভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। তিনি যুদ্ধক্ষেত্রের সেবার পুরষ্কার হিসাবে শুগোর নিয়োগের বিরোধিতা করেছিল। তিনি কোডজুটরস বোর্ডের নেতা হিসাবে তাঁর ক্ষমতায় এস্টেট জমিগুলোর যে কোনও ধরণের সরাসরি বিভাজনের বিরোধিতা করেছিলেন (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ২৩-৪)। তাকাউজি এবং তার ভাই তাদায়োশির নীতিগুলোর মধ্যে একটি স্পষ্ট বিভাজন ছিল।
দু'জন রাষ্ট্রপ্রধানের নীতি একে অপরের সাথে সাংঘর্ষিক হওয়ার ফলে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। এই ঘটনার পরের ঘটনাবলী সাক্ষ্য দেয়, শাসকগোষ্ঠী কতটা সমর্থন হারাতে শুরু করেছিল। আশিকাগা পরিবারের সদস্যদের মধ্যে গভীর বিভাজন বিরোধীদের শক্তিশালী করেছিল। মুরোমাচি শাসনের উভয় স্তম্ভ, তাকাউজি ও তাদায়োশি তাদের নিজস্ব এজেন্ডা চাপিয়ে দেওয়ার জন্য দক্ষিণ দরবারে টোকেন জমা দিয়েছিলেন: কো ভাইদের ধ্বংস করার ইচ্ছায় তাদায়োশি এবং অন্যদিকে তাদায়োশিকে পরাজিত করার আকাঙ্ক্ষায় তাকাউজি এটি করেন। হাস্যকরভাবে দক্ষিণ দরবার উভয়ের শত্রু হলেও এই দুই শাসক সদস্য একে অপরকে আক্রমণ করার ন্যায্যতা হিসাবে এটি ব্যবহার করেছিল।
=== প্রভাব ===
এই ঘটনার অন্যতম প্রধান প্রভাব ছিল দক্ষিণ দরবারের যুদ্ধের প্রচেষ্টাকে পুনরুজ্জীবিত করা। অনেকাংশে এই নতুন আক্রমণাত্মক মুরোমাচি শাসনের টার্নকোটদের দ্বারা সম্ভব হয়েছিল। কামাকুরায় তাকাউজির বিরুদ্ধে পরিচালিত ১৩৫২ সালের সাম্রাজ্যবাদী আক্রমণ তাদায়োশির প্রাক্তন অনুসারীদের বিপুল সংখ্যক দ্বারা সম্ভব হয়েছিল। তারা সাম্রাজ্যবাদী নেতা নিত্তা যোশিমুনের সমর্থক হয়েছিলেন। শুগো প্রভু ইয়ামানা টোকিউজির দলত্যাগের মাধ্যমে ১৩৫৩ সালে কিয়োতোর বিরুদ্ধে সাম্রাজ্যবাদী আক্রমণ সম্ভব হয়েছিল। তাদায়োশির দত্তক পুত্র আশিকাগা তাদাফুয়ু ছিলেন দলত্যাগের অসামান্য উদাহরণ: ১৩৫৩ এবং ১৩৫৪ সালে কিয়োতোর বিরুদ্ধে সাম্রাজ্যবাদী আক্রমণের সময় তিনি দক্ষিণ দরবারের পশ্চিমা সেনাবাহিনীর নেতা হয়েছিলেন।
=== শুগো প্রভুদের উত্থান ===
এই যুগের উত্থান-পতন বুঝতে হলে আমাদের তখন শোগুন-শুগো প্রভু সম্পর্কের উদাহরণের দিকে ফিরে যেতে হবে। নানবোকু-চো যুগের বৈশিষ্ট্যযুক্ত প্রতিযোগিতামূলক আনুগত্য বিভিন্ন স্তরে খেলা হয়েছিল। একবারে আমরা মোরির মতো স্থানীয় সামুরাই পরিবারগুলোর দলত্যাগ দেখতে পাই - ভয়াবহ বিভাজনকারী কান্নো ঘটনার সময় অস্বাভাবিক নয়। উচ্চতর স্তরে, শুগো প্রভুরা চতুর্দশ শতাব্দীর শেষার্ধ পর্যন্ত বিপজ্জনকভাবে স্বাধীন পদ্ধতিতে কাজ চালিয়ে যান।
আশিকাগা শোগুন তাকাউজি পশ্চিম ও মধ্য জাপানের বিভিন্ন প্রদেশে শাখা পরিবারের সদস্যদের শুগো প্রভু হিসাবে নিয়োগ করেছিলেন। শুগো গভর্নর হিসাবে কাজ করেছিলেন এবং শাসন কেন্দ্র এবং পেরিফেরির মধ্যে মধ্যস্থতার দায়িত্ব পালন করেছিলেন। স্থানীয় গভর্নর এবং তাদের নিজস্ব অধিকারে প্রভু হিসাবে, তারা প্রদেশগুলোতে শাসনের কর্তৃত্বের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন। তারা প্রদেশব্যাপী নিয়োগের কারণে সামুরাই হাউসম্যানের চেয়ে অনেক বেশি কর্তৃত্ব অর্জন করেছিল, একক এস্টেটে সীমাবদ্ধ ছিল না। এখানে আমরা মুরোমাচি যুগের প্রথম দিকে আশিকাগা শোগুনের সাথে তাদের সম্পর্কের দিকে নজর দেব।
শুগো নিয়োগের সাফল্য আত্মীয়তার বন্ধনের দিকে নয়, বরং অন্যান্য কারণের মাধ্যমে তারা শাসনের সাথে কতটা ভালভাবে আবদ্ধ ছিল তার উপর নির্ভর করে। কামাকুরা আমল থেকে যোদ্ধা পরিবারগুলো মস্তকপদ অধিকার (সোরিও) ব্যবহার করে চিহ্নিত করা হয়েছিল,খানে শাখা পরিবারগুলোর উপর নেতৃত্ব দেওয়া হয়েছিল মূল পরিবারের নেত্রী. যাইহোক, মস্তকপদ অধিকারগুলো অত্যন্ত অস্থির ছিল কারণ শাখা পরিবারগুলো প্রায়শই তাদের নিজস্ব স্বাধীনতা দাবি করেছিল, বিশেষত নতুন প্রজন্ম আত্মীয়তার বন্ধনকে হ্রাস করার জন্য আবির্ভূত হয়েছিল (মাস ১৯৮৯: ১১৯)।
সেদিনের প্রয়োজনীয়তাগুলো শুগো পদে নিযুক্ত ব্যক্তিদের দ্বারা সামরিক দক্ষতার সফল ব্যবহারের আহ্বান জানিয়েছিল। আশিকাগা শোগুন এবং স্থানীয় সামুরাইয়ের মধ্যে করদ সম্পর্কের মতো, শোগুন এবং শুগো প্রভুদের মধ্যে বন্ধন একই অর্থে মধ্যস্থতাকারী ছিল: প্রতিযোগিতামূলক আনুগত্যের জগতে, আশিকাগা শোগুনরা শুগো পোস্টগুলোতে যোদ্ধাদের নিয়োগ দিয়ে এই পুরুষদের নিজের আরও কাছাকাছি বেঁধে রাখার চেষ্টা করেছিল। সফল জেনারেলরা, যারা একই সাথে শাখা পরিবারের প্রধান ছিলেন যারা তাকাউজির বিদ্রোহের সাথে তাদের ভাগ্যে নিক্ষেপ করেছিলেন, তারাই প্রায়শই এই পদে পুরস্কৃত হন (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ২৩)। তাদের শাসকগোষ্ঠীর সাথে বেঁধে না রাখার মূল্য ছিল তাদের সমর্থন হারানো, এবং শাসন থেকে তাদের স্বাধীনতাকে উত্সাহিত করা।
শুগো পদে নিযুক্ত আশিকাগা শাখা পরিবারগুলোর মধ্যে হোসোকাওয়া, ইয়ামানা, ইমাগাওয়া, হাতাকেয়ামা, নিকি, কিরা, শিবা, ইশিদো এবং ইশিকি পরিবার অন্তর্ভুক্ত ছিল (পাপিনোট ১৯৭২: ২৭)। নির্দিষ্ট প্রদেশগুলোতে, আশিকাগা মূল শুগো পরিবারগুলোকে স্থানচ্যুত করতে ব্যর্থ হয়েছিল: কেন্দ্রীয় প্রদেশগুলোতে সাসাকি, তোগাশি, তাকেদা এবং ওগাসাওয়ারা এবং কিউশুতে শিমাজু, ওটোমো এবং শোনি (আর্নেসেন ১৯৭৯: ৬০)। মধ্য ও পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশগুলোতে প্রায় অর্ধেক নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত। সময় কান্নো ঘটনা, নতুন নিয়োগপ্রাপ্তদের সাথে আশিকাগা হেডশিপ (সোরিও) সম্পর্ক এই শুগোকে শাসনের প্রতি সরাসরি বিদ্রোহ থেকে মোটেও আটকাতে পারেনি। প্রকৃতপক্ষে, শুগো প্রভুদের তুলনায় এই সময়কালে শাসনের জবরদস্তিমূলক প্রতিষ্ঠানগুলোর শোচনীয়ভাবে অভাব ছিল।
শুগো প্রভুদের যা খুশি তা করতে বাধা দিয়েছিল তা হলো নিয়োগের ক্ষীণ যোগসূত্র। বিশেষত নতুন নিয়োগপ্রাপ্তরা যারা তাকাউজির সাথে আবির্ভূত হয়েছিল। যতক্ষণ না তারা তখনও প্রদেশগুলোতে তাদের ক্ষমতা তৈরি করতে পারেনি, ততক্ষণ শাসনের সাথে তাদের সংযোগ বজায় রাখার জন্য তাদের একটি স্বার্থান্বেষী উদ্দেশ্য ছিল। সুও এবং নাগাতো প্রদেশের ওচি এবং সাতসুমা প্রদেশের শিমাজুর মতো যেসব প্রাদেশিক পরিবার কামাকুরা আমলে ক্ষমতা অর্জন করেছিল, তারা তাদের নিজস্ব অধিকারে প্রভু ছিল। এই কারণে তার শাসন এবং তাদের শুগো উপাধির উপর কম নির্ভরশীল ছিল।
১৩৭২ এর পর শুগো প্রভুদের মুরোমাচি শাসনের জন্য কর (তানসেন) সংগ্রহের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। এই করগুলো অভিজাত থেকে শুরু করে সামুরাই পর্যন্ত জমির মালিকদের প্রতিটি শ্রেণীর উপর আঘাত করে। মধ্যস্থতাকারী হিসাবে, শুগো প্রতিটি পৃথক জমির মালিকের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় করের পরিমাণ বাড়িয়ে লাভ করেছিল (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ৭৫)। এই তারিখের মধ্যে, তারা গভর্নর হিসাবে অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছিল এবং তাই তাদের একটি নতুন শাসন কেন্দ্রিক কর তদারকির অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।
=== শুগো সিভিল ফাংশন এবং শুগো উইকের ব্যবহার ===
যা ফোকাসে আসে তা হলো শুগো প্রভু দ্বারা সিভিল গভর্নরের অফিসের ধীরে ধীরে কিন্তু অবিচলিত দখল এবং সামন্ততান্ত্রিক বন্ধনকে কার্যকর করার জন্য এই অবস্থানের ব্যবহার। শুগো পূর্ববর্তী গভর্নরদের মতো তার ঐতিহ্যবাহী প্রশাসনিক দক্ষতার মাধ্যমে নয়, বরং নানবোকু-চো যুদ্ধের সময় এস্টেটের জমি দখলকারী সামুরাইয়ের সাথে করদের মধ্যস্থতাকারী সম্পর্কের মাধ্যমে এবং সরকারী জমিতে বসবাসকারী সামুরাইদের সাথে (কোকুগারিও) কার্যকর করতে সক্ষম হয়েছিল। শুগো প্রভুরা উভয়ই গভর্নর ছিলেন, মুরোমাচি শাসন কর্তৃক তাদের দেওয়া কিছু বৈধ দায়িত্ব ছিল এবং সামন্ত প্রভুরা সামন্তদের প্ররোচিত করার চেষ্টা করেছিলেন।
নানবোকু-চো যুদ্ধ অভিজাতদের প্রতি নির্দয় ছিল যাদের জমিগুলো পূর্ববর্তী সামুরাই স্টুয়ার্ডরা সরাসরি নিয়েছিল এবং অবৈধভাবে ব্যক্তিগত হোল্ডিংয়ে (চিগিও) রূপান্তরিত হয়েছিল। এই বৈপ্লবিক বিকাশ পরবর্তীকালে সংঘটিত এস্টেট ব্যবস্থার সম্পূর্ণ তরলকরণের অগ্রদূত ছিল। শুগো প্রভুরাও তাদের উপর সামুরাই চাপিয়ে তাদের নিয়ন্ত্রণাধীন প্রাক্তন এস্টেটগুলো জড়ো করে এই পুরো জমি দখলে অংশ নিয়েছিল (নাগাহারা ১৯৮২: ১২)। হাস্যকরভাবে, যুদ্ধের উচ্চতায় জমিতে সামুরাই দখলদারিত্ব দ্বারা সৃষ্ট এই আইনহীন পরিস্থিতি ক্ষুদ্র সামুরাই থেকে কোকুজিন পর্যন্ত সমস্ত জমিদার স্বার্থের জন্য সুরক্ষা সমস্যা সৃষ্টি করেছিল এবং স্থানীয় সামুরাইদের মধ্যে করদ আকারে শুগো প্রভুদের সাথে মধ্যস্থতাকারী সম্পর্ক অর্জনের জন্য আরও প্রেরণা সরবরাহ করেছিল। শুগোর সাথে নিজেকে বেঁধে রেখে, তারা প্রদেশের এমন এক ব্যক্তির সাথে নিজেকে মিত্রতা করতে সক্ষম হয়েছিল যিনি একরকম স্থানীয় সুরক্ষা সরবরাহ করতে পারেন।
শুগো লর্ড এবং কোকুজিনের মধ্যে করদ সম্পর্ক প্রায়শই এস্টেটগুলোতে শুগো চুক্তি (শুগো-উকে) নামে পরিচিত একটি ত্রিমুখী মধ্যস্থতাকারী টাই হয়: একজন অভিজাত মালিক রাজধানীতে বসবাসকারী মালিককে সরবরাহ করা গ্যারান্টিযুক্ত বছরের শেষের (নেঙ্গু) আয়ের বিনিময়ে শুগোকে তার এস্টেট পরিচালনার দায়িত্ব দিতেন। শুগো প্রভু তখন ম্যানেজার হিসাবে সেই এস্টেটগুলোতে করদ রাজ্য সামুরাই (হিকান) নিযুক্ত করেছিলেন (মিয়াগাওয়া ১৯৭৭: ৯২; মিয়াগাওয়া ১৯৭৭: ৯২)। নাগাহারা ১৯৮২: ১৪)। অনুমিতভাবে, শুগো চুক্তিগুলো শুগো প্রভু, সামুরাই কোকুজিন এবং আভিজাত্যের স্বার্থকে একত্রে বেঁধেছিল। তবে স্বার্থের সমতার ভিত্তিতে ছিল না। তারা সত্যই এস্টেটগুলোতে শুগো দখলের যন্ত্র ছিল। চুক্তির মধ্যস্থতাকারী প্রকৃতি সম্পর্কে কোনও সন্দেহ নেই। কারণ এটি তিনটি গোষ্ঠীর স্বার্থকে সংযুক্ত করেছিল। তবে এটি শুগো প্রভুর পক্ষে সবচেয়ে অনুকূল ছিল যিনি এই যন্ত্রটি স্থানীয় সামুরাই (কোকুজিন) এর সাথে করদের সম্পর্ক প্রসারিত করতে এবং একই সাথে আভিজাত্যের ব্যয়ে তার জমি বেস প্রসারিত করতে ব্যবহার করেছিলেন। শুগো চুক্তি (শুগো-উকে) ১৩৪০ এর দশকে আবির্ভূত হয়েছিল এবং ধীরে ধীরে ব্যাপক হয়ে ওঠে (উইন্টারস্টিন ১৯৭৪: ২১১)। এই চুক্তিটি কীভাবে পরিচালিত হয়েছিল তা দেখে, এটি স্পষ্ট যে এস্টেট সিস্টেম (শোয়েন) যোদ্ধাদের দ্বারা কতটা দখল করা হয়েছিল এবং তার পূর্ববর্তী জীবনের একটি কঙ্কালে পরিণত হয়েছিল। শুগো প্রভুরা সামরিক সেবার বিনিময়ে সামুরাইকে এস্টেটের পরিচালনা দিয়েছিলেন, কিন্তু আভিজাত্যকে এস্টেটের সমস্ত ক্ষমতা ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছিল, তিনি যেখানে থাকতেন সেখানে বছরের শেষের (নেঙ্গু) আয়ের অংশের জন্য অপেক্ষা করতে হ্রাস পেয়েছিলেন। অভিজাত তার নিজের আয়ের অংশের গ্যারান্টি দেওয়ার জন্য কর অধ্যক্ষ (নেঙ্গু দাইকান) নিয়োগ করেছিলেন। তবে তাকে নিয়োগের জন্য অত্যধিক পরিমাণ অর্থ প্রদান করতে হয়েছিল। কোকুজিন এবং শুগো প্রভু দ্বারা ইতিমধ্যে হ্রাস করা অভিজাত আয় আরও হ্রাস পেয়েছিল যখন ট্যাক্স ওভারসিয়ার তার অর্ধেক নিয়েছিল। মহৎ আয়ের এই হ্রাস শুগো এবং সামুরাই উভয়ের পক্ষ থেকে ধীরে ধীরে অর্থ প্রদান না করার ফলাফল ছিল; শেষ ব্যবস্থা হিসাবে, অভিজাতরা যোদ্ধাদের উপর চাপ দেওয়ার উপায় হিসাবে মহাজন (ডিওএসও) এবং আমলাদের (বুগিওনিন) ভাড়া করেছিল। তবে এই প্রতিকারটিও দাগযুক্ত ফলাফল তৈরি করেছিল কারণ ভাড়াটে হাতগুলো যোদ্ধাদের সাথে আলোচনা করতে হয়েছিল (নাগাহারা ১৯৮২: ১৬)।
=== শুগো এবং পাবলিক ল্যান্ডস (কোকুগারিও) ===
সম্প্রতি অবধি একটি বৃহত্তর অনুপস্থিত চিত্র হলো মুরোমাচি আমলে সরকারী জমিগুলোর ভাগ্য (কোকুগারিও) এবং তাদের উপর তাদের দখলদারিত্বে শুগো প্রভুদের ভূমিকা। হেইয়ান আমলে সরকারী জমি (কোকুগারিও) এস্টেটগুলোর ব্যক্তিগত জমি (শোয়েন) থেকে পৃথক ছিল। কারণ পরবর্তীকালে রাষ্ট্রীয় কর থেকে মুক্ত ছিল। বেসরকারী এস্টেটের উত্থানের আগে, একমাত্র ধরণের জমি ছিল পুরানো নাগরিক প্রশাসনের অধীনে রক্ষণাবেক্ষণ করা সরকারী জমি। হেইয়ান আমলে শোয়েন নামে পরিচিত বেসরকারী এস্টেটগুলোর উত্থানের সাথে সাথে সরকারী জমিগুলো কোনওভাবেই অদৃশ্য হয়ে যায়নি: বিশদভাবে, সরকারী জমিগুলো ব্যক্তিগত এস্টেট থেকে খুব কম আলাদা ছিল। দুটিরই মালিক ছিলেন অনুপস্থিত মালিকরা। তারা কেবল প্রশাসনের দিক থেকে পৃথক ছিল: বেসরকারী এস্টেটগুলো সরাসরি অভিজাত কর্মকর্তাদের দ্বারা পরিচালিত হত, অন্যদিকে, সরকারী জমিগুলো প্রাক্তনদের পক্ষে সিভিল গভর্নরদের (কোকুগা বা কোকুশি) দ্বারা পরিচালিত হত (আর্নেসেন ১৯৭৯: ৯৪)। কামাকুরা আমলে, সরকারী জমিগুলো বিভিন্ন জমির মালিকদের ব্যক্তিগত হোল্ডিং (চিগিও) হিসাবে মালিকানাধীন ছিল। এই জমির মালিকদের মধ্যে অভিজাত বাড়ি, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান এবং যোদ্ধা অন্তর্ভুক্ত ছিল। কান্তো এবং উত্তর-পূর্বের পুরো অঞ্চল যোদ্ধাদের দখলে ছিল এস্টেট ম্যানেজার হিসাবে নয়, ব্যক্তিগত হোল্ডিং হিসাবে (নাগাহারা ১৯৮২: ১৫): কান্টো প্রদেশগুলো কামাকুরা শাসনকে ব্যক্তিগত জমি (চিগিওকোকু) হিসাবে দেওয়া হয়েছিল। আশিকাগা শাসন এই জমিগুলো উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছিল এবং ভাগ্যক্রমে তাদের উপরে শুগো প্রভুদের রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল (আর্নেসেন ১৯৭৯: ৯৪)।
সিভিল গভর্নর অফিসের (কোকুশি) অন্যতম প্রধান কাজ ছিল প্রদেশগুলোতে ফৌজদারি বিচারের তদারকি এবং সরকারী জমির মধ্যে ব্যক্তিগত হোল্ডিংগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ (কোকুগারিও)। তবে কামাকুরা শাসনের আবির্ভাবের সাথে তার কার্যকারিতা পরিবর্তন হতে শুরু করে (হল ১৯৬৬: ২০২-০৩)। কামাকুরা কর্তৃক শুগো কনস্টেবল নিয়োগের সাথে সাথে প্রদেশগুলোর মধ্যে সমস্ত ফৌজদারি এখতিয়ার তার হাতে চলে যায়। তবে সিভিল গভর্নর (কোকুশি) সিভিল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (রিটসুরিও) মূল কর্মকর্তা হিসাবে রয়ে গেলেন, যিনি নিশ্চিত করেছিলেন যে ব্যক্তিগত হোল্ডিং থেকে ভাড়া কিয়োতো এবং ইয়ামাশিরো প্রদেশের অনুপস্থিত অভিজাত এবং ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে (জিশা হোনজো) পৌঁছেছে। তাঁর তত্ত্বাবধানে যোদ্ধাদের ব্যক্তিগত হোল্ডিংগুলো অন্তর্ভুক্ত ছিল না, সাধারণত কানটো এবং আরও উত্তরে কেন্দ্রীভূত ছিল।
নানবোকু-চো যুদ্ধের প্রাদুর্ভাবের সাথে সাথে নাগরিক প্রশাসন (ঋতসুরিও) দ্রুত ভেঙে পড়তে শুরু করে এবং শুগো প্রভুরা, যাদের কামাকুরা আমলে প্রাদেশিক শাসনে সামান্য ভূমিকা ছিল, তারা সিভিল গভর্নরের দায়িত্ব দখল করতে আবির্ভূত হয়েছিল। এটি প্রতিটি প্রদেশে তাত্ক্ষণিকভাবে ঘটেনি। তবে শুগো প্রভুরা সরকারী জমিতে সত্যিকারের গভর্নর না হওয়া পর্যন্ত কোনও বাধা ছাড়াই ঘটেছিল (কোকুগারিও)। তারা সরকারী জমির মধ্যে ব্যক্তিগত হোল্ডিংয়ের তদারকি করার সাথে সাথে তারা বিভিন্ন ধরণের জমির মালিকদের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করেছিল: অভিজাত, বিভিন্ন ধরণের সামুরাই (কোকুজিন, জিজামুরাই) এবং ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের সাথে। তারা এই জমিগুলোতে তাদের নিজস্ব অনুসারীদের চাপিয়ে দিয়েছিল এবং সামরিক সেবার বিনিময়ে বিদ্যমান সামুরাইয়ের জমিগুলো পুনরায় নিশ্চিত করেছিল এবং অনুমানযোগ্য ফলাফলের সাথে অভিজাতদের সাথে শুগো চুক্তি প্রতিষ্ঠা করেছিল (নাগাহারা ১৯৮২: ১৫)। এস্টেটগুলোতে স্থানীয় সামুরাই (কোকুজিন) এর সাথে করদ সম্পর্কের পাশাপাশি, সরকারী জমিতে করদ বন্ধন একটি মূল সংস্থান হয়ে ওঠে যা শুগো প্রভুদের শক্তি বাড়িয়ে তোলে।
তদুপরি, ১৩৪৬ সালে মুরোমাচি শাসনের উত্থানের দশ বছর পর শোগুন শুগোকে এস্টেটগুলোতে ফসল চুরির মামলাগুলো বিচার করার এবং সাম্রাজ্যবাদী বাহিনীর কাছ থেকে নেওয়া যোগ্য করদ রাজ্যগুলোর জমির অস্থায়ী নিয়োগ দেওয়ার অধিকার দিয়ে কর্তৃত্বকে বিকেন্দ্রীকরণ করেছিল (আর্নেসেন ১৯৭৯: ৬৫)। এটি তাৎপর্যপূর্ণ ছিল, যতক্ষণ না কামাকুরা এখতিয়ারের ঐতিহ্যবাহী অঞ্চলগুলো মুরোমাচি শাসন দ্বারা "ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল"। পূর্বে, ফসল চুরি বা জমি বরাদ্দের সমস্ত মামলা কঠোরভাবে কামাকুরা প্রশাসনের অধীনে ছিল। এছাড়াও, প্রায় এই সময়ে, সাম্রাজ্যবাদী শক্তি তাদের সবচেয়ে খারাপ পরাজয়ের সম্মুখীন হচ্ছিল, শত্রুদের জমি বাজেয়াপ্ত ও পুনর্নির্ধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দিচ্ছিল। শুগো প্রভুদের এই নতুন এখতিয়ার দেওয়ার মাধ্যমে এটি তাদের নির্ধারিত প্রদেশগুলোর গভর্নর হিসাবে তাদের অবস্থানকে আরও বাড়িয়ে তোলে।
=== বৈধতা এবং ক্ষমতার সীমাবদ্ধতা ===
এই দ্বৈত ক্ষমতায় শুগো প্রভুদের গভর্নর হিসাবে পরিচালিত জমির জন্য প্রদেশগুলোতে অন্যান্য জমি সামুরাইয়ের সাথে প্রতিযোগিতা করতে হয়েছিল। তবে ব্যক্তিগতভাবে মালিকানাধীন ছিল না। অভিজাত মালিকদের মতো, একক শুগো প্রভু বেশ কয়েকটি প্রদেশের বিস্তৃত অঞ্চলে জমির মালিক ছিলেন। তাঁর ক্ষমতা ষোড়শ শতাব্দীর আঞ্চলিক প্রভুদের (দাইমিও) মতো জমির ব্যক্তিগত মালিকানার উপর নির্মিত হয়নি। তবে করদের বন্ধনের মাধ্যমে স্থানীয় সামুরাইয়ের আনুগত্যের উপর নির্মিত হয়েছিল (মিয়াগাওয়া ১৯৭৭: ৯১-৯৩)। ষোড়শ শতাব্দীর আঞ্চলিক প্রভুদের দ্বারা অনেক বেশি জবরদস্তিমূলক সম্ভাবনা প্রয়োগ করা হয়েছিল। কারণ তাদের আশেপাশের জমিগুলোর মালিকানার উপর ভিত্তি করে তাদের করদের বন্ধন ছিল: মালিক হিসাবে তারা উপযুক্ত হিসাবে জমিটি ছেড়ে দিতে পারে, খুব বেশি ঝামেলা ছাড়াই অবাধ্য করদ রাজ্যগুলোর থেকে মুক্তি পেতে পারে। চতুর্দশ শতাব্দীতে, শুগো প্রভুরা অঞ্চলটির প্রদেশব্যাপী মালিকানা দাবি করতে পারেনি: প্রথমত, ব্যক্তিগত প্রাদেশিক মালিকানার ধারণাটি তখনও অনুন্নত ছিল; দ্বিতীয়ত, তারা কখনই প্রচুর পরিমাণে ব্যক্তিগত সম্পত্তি সংগ্রহ করেনি, বরং তাদের সামন্তদের দখল করার জন্য এস্টেট জমি এবং সরকারী জমির ঐতিহ্যবাহী কাঠামো ব্যবহারের উপর নির্ভর করেছিল। এটি চতুর্দশ শতাব্দীর কেন্দ্রীয় রহস্য: এস্টেট সিস্টেমের বিভাজন এবং বিলুপ্তি এবং নাগরিক প্রশাসনের অন্তর্ধান ব্যক্তিগত জমির বিস্তারের সাথে মিলে যায়। তবে এস্টেট সিস্টেমের বাহ্যিক কাঠামো (শোয়েন) এবং পাবলিক ল্যান্ডস সিস্টেম (কোকুগারিও), যদিও বিষয়বস্তু বিহীন, তবুও রয়ে গেছে (কিয়ারস্টেড ১৯৮৫: ৩১১-১৪)। বিভাজনের পরিপ্রেক্ষিতে, এটি ছিল শুগো করদের মধ্যস্থতাকারী সম্পর্ক এবং প্রাদেশিক গভর্নর হিসাবে শুগোর ভূমিকা। এটি কিছুটা হলেও ভিন্ন শক্তিকে সংহত করতে সহায়তা করেছিল।
যোদ্ধাদের হাতে যে অবক্ষয়ের শিকার হয়েছিল তার পরিপ্রেক্ষিতে এস্টেট ব্যবস্থা কীভাবে আদৌ বেঁচে ছিল তা আশ্চর্যের বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। উপরে বর্ণিত ক্ষয়িষ্ণু আকারে টিকে থাকার দুটি কারণ ছিল: এক, মুরোমাচি শাসনের অস্তিত্ব ছিল যা যোদ্ধা আক্রমণের মুখে ধারাবাহিকভাবে এস্টেট ব্যবস্থাকে সমর্থন করেছিল (নাগাহারা ১৯৮২: ১৬)। দ্বিতীয় বিভাগে বর্ণিত হিসাবে, আশিকাগা তাকাউজি নিশ্চিত করার চেষ্টা করেছিলেন যে অর্ধেক করের পরিমাপ দ্বারা যোদ্ধাদের উপর নির্ধারিত সীমা অতিক্রম করা হয়নি। তবে তিনি শুগো চুক্তির মতো ব্যবস্থাগুলো এড়াতে ব্যর্থ হয়েছিলেন যা সত্যই তার সম্পত্তি এবং এর আয়ের আভিজাত্যকে অস্বীকার করেছিল। অর্ধ করের পরিমাপ নিজেই সামুরাইয়ের হাতে সম্পত্তির সরাসরি দখল থেকে আভিজাত্যকে রক্ষা করেনি, এমনকি যদি পরবর্তীকালে অর্ধ কর আইন পূরণের জন্য একটি অংশ হস্তান্তর করার প্রয়োজন হয়। শেষ পর্যন্ত, মুরোমাচি প্রশাসনই নিশ্চিত করেছিল যে সামুরাইরা তাদের আয়ের অংশ অভিজাতদের প্রদান করে।
এস্টেট ব্যবস্থার টিকে থাকার পেছনে অন্য কারণটি অভিজাত শ্রেণীর বৈধতার সাথে সংযুক্ত ছিল। এস্টেটে বসবাসকারী কৃষকদের মধ্যে যোদ্ধাদের উত্থান জনপ্রিয় ছিল না। অভিজাতদের আরও কোমল হাত ছিল সেই হাতটিও লোকেরা শ্রদ্ধা করতে এসেছিল। জনগণের মধ্যে সরাসরি অবাধ্যতা ও বিদ্রোহ রোধ করা শুগো প্রভু এবং কোকুজিন উভয়ই এস্টেট কাঠামোর বাহ্যিক রূপকে সম্মান জানাতে আসার একটি কারণ ছিল। কৃষকদের চোখে তাদের শাসনকে বৈধ করার জন্য, যোদ্ধারা এস্টেট কাঠামোর কাঠামোর মধ্যে কাজ করেছিল, যদিও এই কাঠামোটি পুরোপুরি পরিবর্তিত হয়েছিল (নাগাহারা ১৯৮২: ১৬-৭)। একটি মামলা তৈরি করা যেতে পারে যে ইয়ামাশিরো প্রদেশের বাইরে এস্টেট ব্যবস্থা এমন পরিমাণে ক্ষয়প্রাপ্ত হয়েছিল, প্রদেশগুলোতে অভিজাতদের কোনও প্রভাব অবশিষ্ট ছিল না।
== আশিকাগা শক্তি একীকরণ: ১৩৬০-১৩৭০ ==
১৩৫৮ সালে তাকাউজির মৃত্যুর পর শোগুনতন্ত্র তার পুত্রের হাতে চলে যায় যোশিয়াকিরা। তাঁর নেতৃত্বে, এবং কানরেই হোসোকাওয়া ইয়োরিয়ুকির নেতৃত্বে, শাসনব্যবস্থা ১৩৬০ এবং ৭০ এর দশকে শুগো প্রভুদের সংহত করতে সফল হয়েছিল: আশিকাগার শুগো শাখা পরিবারগুলো সরকারী আমলাতন্ত্রের মধ্যে নিযুক্ত ছিল। আমি নিম্নলিখিত পয়েন্টগুলো কভার করব: ১) কানরেই কাউন্সিল সিস্টেমের উত্থান, এবং মধ্যস্থতাকারী যন্ত্র হিসাবে বোর্ড অফ রিটেইনার্স যা শুগো প্রভুদের শাসনের সাথে আরও দৃঢ়ভাবে আবদ্ধ করেছিল; ২) শোগুনাল আধিপত্যের আকারে একটি জবরদস্তিমূলক যন্ত্রের উত্থান যা ভ্রান্ত শুগো প্রভুদের শৃঙ্খলাবদ্ধ করতে ব্যবহৃত হয়েছিল এবং দক্ষিণ দরবারের বাহিনীর চূড়ান্ত পরাজয়; ৩) দরবারের র্যাংকিং সিস্টেমের ব্যবহার একটি মধ্যস্থতাকারী যন্ত্র হিসাবে যা শাসনকে রাজকীয় দরবারের সাথে আবদ্ধ করেছিল এবং এর সাথে সম্পর্কিত ১৩৬৮ সালের হানজেই অর্ধ-কর ডিক্রি এবং এর প্রভাব। ৪) কিউশু ও কানটো অঞ্চলে মুরোমাচি কর্তৃপক্ষের সীমাবদ্ধতা।
শাসনব্যবস্থাকে পুনর্গঠন করে কান্নো ঘটনার ক্ষত নিরাময়ের জন্য শোগুন যোশিয়াকিরার উপর ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। ১৩৬২ সালে তিনি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেছিলেন যা শুগো প্রভুদের শাসনের সাথে সংযুক্ত করেছিল: কানরেই কাউন্সিল সিস্টেম। এই ব্যবস্থাটি দুটি উপাদান নিয়ে গঠিত হয়েছিল, কানরেই অফিস এবং সিনিয়র করদ রাজ্য কাউন্সিল (জুশিন কাইগি) যার উপর কানরেই সভাপতিত্ব করেছিলেন। কানরেই কাউন্সিল ব্যবস্থায় সবচেয়ে শক্তিশালী শুগো পরিবারকে সরাসরি মধ্য ও পশ্চিম জাপান শাসনে অংশগ্রহণকারী হিসাবে জড়িত করা হয়েছিল। শোগুনের পাশাপাশি, কানরেই কাউন্সিল মুরোমাচি শাসনের হৃদয় গঠনের জন্য এমন পরিমাণে আবির্ভূত হয়েছিল, ইতিহাসবিদরা এই শাসনকে বাকুফু-শুগো সিস্টেম হিসাবে চিহ্নিত করতে এসেছেন (তনুমা ১৯৭৬: ১২; তানুমা ১৯৭৬: ১২)। হ্যারিংটন ১৯৮৫: ৬৭)।
=== কানরেই কাউন্সিল এবং প্রতিষ্ঠানের পুনর্গঠন ===
কানরেই কাউন্সিল ব্যবস্থা মধ্যস্থতাকারী ছিল। কারণ এটি আমলাতান্ত্রিক শাসনের সামরিক দিককে একত্রিত করেছিল। কান্নো ঘটনার সাথে উদ্ভূত দ্বন্দ্বটি তাকাউজি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত সামরিক করদ রাজ্য প্রতিষ্ঠান এবং তাদায়োশি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত আমলাতান্ত্রিক-বিচারিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে বিচ্ছেদ এবং সংঘর্ষের সাথে সম্পর্কিত। কানরেই কাউন্সিল ব্যবস্থার উত্থানের সাথে সাথে প্রশাসনের সামরিক পক্ষের প্রতিনিধিত্বকারী শুগো প্রভুরা নীতি সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় হিসাবে আমলাতন্ত্রের সাথে দৃঢ়ভাবে আবদ্ধ ছিলেন।
কানরেই অফিস নিজেই শোগুনের সাথে শুগো প্রভুদের স্বার্থকে একত্রিত করে মধ্যস্থতার একটি ভাল উদাহরণ। কানরেইয়ের কাজ ছিল সিনিয়র করদ রাজ্য কাউন্সিল (জুশিন কাইগি) এবং শোগুনের মধ্যে মুখপাত্র হিসাবে কাজ করা, দুজনের মধ্যে মধ্যস্থতা করা (কাওয়াই ১৯৭৭: ৭০)। কানরেইয়ের দৈনন্দিন ভিত্তিতে শাসনের আমলাতান্ত্রিক উপাদানগুলো দেখার, পরামর্শ করা এবং কাউন্সিল এবং আমলাতন্ত্রের কাছে শোগুনাল আদেশগুলো প্রেরণ করাও দায়িত্ব ছিল। কান্রেই ধারাবাহিকভাবে চার প্রজন্মের মধ্যে তাকাউজির সাথে সম্পর্কিত তিনটি শুগো পরিবারের বংশগত গোষ্ঠী থেকে নির্বাচিত হয়েছিল (পাপিনোট ১৯৭২: ২৭): হোসোকাওয়া, হাতাকিয়ামা এবং শিবা। তিনটি পরিবার পালাক্রমে পদটি পূরণ করেছিল। তারা শাসকদের সর্বোচ্চ পদমর্যাদার শুগো পরিবার ছিল এবং কানরেইয়ের পদটি এর সমর্থনে তাদের স্বার্থকে বেঁধে রাখতে সহায়তা করেছিল।
কানরেই কাউন্সিল ব্যবস্থার অন্য উপাদানটি ছিল সিনিয়র করদ রাজ্য কাউন্সিল (জুশিন কাইগি)। কানরেই কাউন্সিলের সভাগুলোর সভাপতিত্ব করেছিলেন, কাউন্সিলের সিদ্ধান্তগুলো শোগুনকে রিলে করেছিলেন এবং শোগুন থেকে কাউন্সিলে আদেশ প্রেরণ করেছিলেন। এই ব্যবস্থায়, কাউন্সিল এবং শোগুনের মধ্যে পরামর্শের মাধ্যমে শাসন নীতি প্রণয়ন করা হয়েছিল, যদিও চূড়ান্ত সিদ্ধান্তগুলো পরবর্তীকালে নেওয়া হয়েছিল (কাওয়াই ১৯৭৭: ৭০-৭১; কাওয়াই ১৯৭৭: ৭০-৭১)। সাতো ১৯৭৭: ৪৮)। শুরুতে, কাউন্সিলটি তিনটি শুগো পরিবারের প্রধানদের সমন্বয়ে গঠিত হয়েছিল যাদের কাছ থেকে কানরেই নিয়মিত নির্বাচিত হয়েছিল এবং শক্তিশালী শুগো পরিবারের আরও চারটি প্রধান: ইয়ামানা, ইশিকি, আকামাতসু এবং কিয়োগোকু (ভার্লি ১৯৬৭: ২৭-৯)। শেষোক্ত দুটি পরিবার আশিকাগা পরিবারের সাথে সম্পর্কিত ছিল না। পরবর্তী কয়েক দশক ধরে ওচি, সাসাকি এবং টোকি পরিবারগুলোর নিয়োগের সাথে সম্পর্কহীন শুগো পরিবারগুলোকে কাউন্সিলে অন্তর্ভুক্ত করার এই প্রবণতা অব্যাহত ছিল। এই প্রবণতাটি ইঙ্গিত দেয় যে শক্তিশালী শুগো পরিবারগুলো, আত্মীয়তা নির্বিশেষে, সিনিয়র করদ রাজ্য কাউন্সিলের মধ্যস্থতাকারী প্রকৃতির মাধ্যমে শাসনের সাথে আবদ্ধ ছিল: শুগো প্রভু এবং শোগুনের মধ্যে দ্বন্দ্ব এবং সম্ভাব্য স্বার্থের দ্বন্দ্বকে শুগো প্রভুদের কাউন্সিলের মধ্যে আলোচনায় তাদের মতামত জানাতে দিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়া হয়েছিল। বোর্ড অফ রিটেইনার্স (সামুরাইডোকোরো) চতুর্দশ শতাব্দীতে ইমাগাওয়া (যিনি একটু পরে কাউন্সিলের সদস্য হয়েছিলেন), হোসোকাওয়া, হাতাকেয়ামা, শিবা এবং টোকির মধ্যে থেকে নির্বাচিত একজন সিনিয়র করদ রাজ্য কাউন্সিল সদস্যেরও নেতৃত্বে ছিলেন। কিয়োতোর রাজধানীতে পুলিশ কার্যাবলী এবং ফৌজদারি বিচার সম্পাদনের উপর বোর্ড অফ রিটেইনারদের দায়িত্ব ছিল (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ৮৮,১০৭)। অফিসধারী স্বয়ংক্রিয়ভাবে জাপানের সবচেয়ে ধনী এবং সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ ইয়ামাশিরো প্রদেশের উপর শুগো হয়ে ওঠে এবং শাসনের সদর দফতর এবং কিয়োতো শহর রক্ষার দায়িত্ব ছিল (ভার্লি ১৯৬৭: ৫৭)। পঞ্চদশ শতাব্দীর শুরুতে, চারটি শুগো পরিবারের মধ্যে থেকে অনুচর বোর্ডের প্রধান বেছে নেওয়া হয়েছিল: ইয়ামানা, আকামাতসু, কিয়োগোকু এবং ইশিকি। রিটেইনার্স বোর্ড কানরেই কাউন্সিল সিস্টেম যা করেছিল তা করেছিল: এটি শুগো প্রভুদের স্বার্থকে শাসনের সাথে সংযুক্ত করেছিল এবং এর ফলে তাদের মধ্যে সম্ভাব্য দ্বন্দ্বের মধ্যস্থতা করেছিল। শাসকগোষ্ঠীর সম্ভাব্য সংঘাতের উৎস শুগো প্রভুরা শাসকগোষ্ঠীর একটি প্রতিষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী হয়ে ওঠায় মধ্যস্থতাকারী ছিল।
সিনিয়র করদ রাজ্য কাউন্সিল এবং রিটেইনার্স বোর্ডে শুগোর অংশগ্রহণ পুনর্নির্মিত শাসনব্যবস্থায় তাদের অংশগ্রহণের আরও দুটি বিশিষ্ট উদাহরণ ছিল। এই অংশগ্রহণের গুরুত্বকে অবমূল্যায়ন করা যায় না: এই মধ্যস্থতাকারী যন্ত্রগুলো ব্যবহারের মাধ্যমেই আশিকাগা শোগুনরা তাদের নির্দেশনায় রাষ্ট্রকে কেন্দ্রীভূত করতে সক্ষম হয়েছিল। যেমনটি আমরা বারবার দেখব, মুরোমাচি সমাজের সমস্ত স্তরে নিয়োগের ব্যবস্থা হিসাবে হেডশিপ বন্ধন (সোরিও) আকারে আত্মীয়তা বড় হয়ে উঠেছে: এখানেও, সর্বোচ্চ অবস্থানের শুগো প্রভুরা বেশিরভাগই আশিকাগার শাখা পরিবার ছিল। যাইহোক, এই আত্মীয়তার বন্ধনগুলো আধা-স্বাধীন শুগো প্রভু এবং শাসকদের মধ্যে মধ্যস্থতার পথে খুব কমই কাজ করেছিল। বরং কানরেই কাউন্সিল ব্যবস্থার মাধ্যমে শাসন পরিচালনায় শুগো প্রভুদের কার্যকর অংশগ্রহণ ছিল যা তাদের স্বার্থকে শাসনের সাথে আগের চেয়ে আরও দৃঢ়ভাবে আবদ্ধ করেছিল।
=== আশিকাগা এবং শুগো জোটের উসে ===
১৩৬২ সালে দেশের দুটি সবচেয়ে শক্তিশালী শুগো ঘর, ওউচি এবং ইয়ামানা, এই শর্তে আশিকাগা শাসনের কাছে আত্মসমর্পণ করেছিল যে শোগুন তাদের নিজ নিজ প্রদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবে না (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ২৫)। পরবর্তীকালে, ইয়ামানা, যারা আশিকাগার সাথে সম্পর্কিত ছিল এবং ওউচি, যারা সম্পর্কিত ছিল না, সরকারী বিষয়ে ক্রমবর্ধমান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে শুরু করে। যাইহোক, কয়েক দশকের মধ্যে, উভয় শুগো ঘর শোগুনের ক্রোধের জন্য যথেষ্ট শক্তিশালী হয়ে ওঠে।
১৩৬৬ সালে প্রথম কানরেই অফিসধারীর পিতা, শিবা টাকাতসুনে, যিনি তার তেরো বছর বয়সী ছেলের উপর আসল ক্ষমতা রেখেছিলেন এবং যিনি শিবা পরিবারের সদস্যদের মূল সরকারী অফিসগুলোতে বসানোর ইঞ্জিনিয়ার করেছিলেন, তার ক্রমবর্ধমান শক্তি এবং অহংকারের কারণে বিশ্বাসঘাতক হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছিল (তিনি কানরেই পদ গ্রহণ করে অবমাননা বোধ করেছিলেন, তাই তার পরিবর্তে তিনি তার ছেলেকে নিয়োগ দিয়েছিলেন)। একটি গুরুত্বপূর্ণ শুগো পরিবারের বিরুদ্ধে শক্তির প্রথম প্রদর্শনে, যোশিয়াকিরা ইয়ামানা, সাসাকি, যোশিমি এবং টোকি শুগো প্রভুদের এচিজেন প্রদেশের শিবা আক্রমণ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। শিবা পরাজিত হয়েছিল এবং এচিজেনে তাদের অঞ্চল পুনরায় বিতরণ করা হয়েছিল (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ৯২)। ১৩৬৭ সালে শিবা পরিবারকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর হোসোকাওয়া ইয়োরিয়ুকিকে কানরেই পদের উত্তরসূরি হিসাবে নামকরণ করা হয়েছিল: শোগুন যোশিয়াকিরার মৃত্যুর পর ইয়োরিয়ুকি তরুণ শোগুন যোশিমিতসুর সংখ্যালঘু থাকাকালীন শাসনকে আরও দৃঢ় ভিত্তির উপর স্থাপন করতে সক্ষম হন। ১৩৬৬ সালে তাদের নিজস্ব সহকর্মীদের একজনকে আক্রমণ করার জন্য শুগো প্রভুদের ব্যবহার, শুগো প্রভুদের তুলনায় শোগুনের ক্রমবর্ধমান কর্তৃত্ব এবং বয়সের সাথে বাড়তে থাকা জবরদস্তির একটি কার্যকর যন্ত্রের উত্থানের দিকে ইঙ্গিত করে। তখন পর্যন্ত, আমরা সত্যিকারের শৃঙ্খলাবদ্ধ ব্যবস্থার কার্যত অস্তিত্বহীনতা দেখেছি যা শোগুন তার শুগো প্রভুদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে পারে। শোগুন এবং শুগো প্রভুদের মধ্যে উদ্ভূত নতুন মধ্যস্থতাকারী যন্ত্রগুলোর সাথে একত্রে, শোগুন-শুগো জোটের মাধ্যমে এক শুগো প্রভুকে অন্যের বিরুদ্ধে দাঁড় করানোর নতুন জবরদস্তিমূলক যন্ত্রটি শোগুনের হাতকে শক্তিশালী করেছিল।
১৩৬২ সালে কিয়োতোর বিরুদ্ধে সর্বশেষ দক্ষিণ দরবারের আক্রমণ আশিকাগাকে রাজধানী থেকে সরে আসতে বাধ্য করেছিল। তবে পূর্ববর্তী অনেক প্রচেষ্টার মতো, সাম্রাজ্যবাদীদের শেষ পর্যন্ত কিছু অর্জন না করেই একটি বড় পাল্টা আক্রমণের মুখে পিছু হটতে হয়েছিল (সানসোম ১৯৬১: ১০৮)। ১৩৫০-এর দশকে সাম্রাজ্যবাদী সেনাবাহিনীর মধ্যে যে উচ্ছ্বাস ছিল তা ম্লান হয়ে গেছে। এই তারিখের পরে প্রতিরোধ বিক্ষিপ্ত এবং সম্পূর্ণ প্রতিরক্ষামূলক হয়ে ওঠে। অবশেষে ১৩৬৯ সালে সম্রাট গো-মুরাকামির মৃত্যুর এক বছর পর কট্টর সাম্রাজ্যবাদী জেনারেল কুসুনোকি মাসানোরি শাসকগোষ্ঠীর কাছে আত্মসমর্পণ করেন। তাঁর আত্মসমর্পণের ফলে কেন্দ্রীয় প্রদেশগুলোর প্রতি সাম্রাজ্যবাদী হুমকির অবসান ঘটে (সানসোম ১৯৬১: ১০৮)।
=== দরবারের কাছে বৈধতা চাওয়া ===
১৩৭০ সালে ইমাগাওয়া সাদায়ো (রিওশুন) দ্বারা নিযুক্ত করা হয়েছিল কানরেই ইয়োরিয়ুকি এবং সিনিয়র করদ রাজ্য কাউন্সিল কিউশুতে দক্ষিণ দরবারের প্রতিরোধের শেষ দুর্গটি নামিয়ে আনতে। বারো বছরের কঠোর অভিযানের পর সাম্রাজ্যবাদী প্রতিরোধ ১৩৮১ সালে কিকুচি পরিবারের পরাজয়ের সাথে ভেঙে পড়ে। ১৩৮৫ সালে শিমাজু উজিহিসার মৃত্যুর সাথে সাথে সর্বশেষ কিউশু প্রাদেশিক ডোমেন শাসনব্যবস্থার প্রতি তার আনুগত্য ঘোষণা করেছিল (সানসোম ১৯৬১: ১১২)। কিউশুর পতনের সাথে সাথে সমগ্র পশ্চিম জাপান আশিকাগা শাসনের শাসন ও প্রভাবের অধীনে আসে। তবে অভিজাতদের উপর আশিকাগা শাসনকে বৈধতা দেওয়ার জন্য একা প্রচারণা অপর্যাপ্ত ছিল। ১৩৬৭ এর পর শোগুন যোশিমিতসুর সংখ্যালঘু সময়ে, কানরেই হোসোকাওয়া ইয়োরিয়ুকি অভিজাতদের চোখে শাসনকে বৈধতা দেওয়ার প্রয়াসে সক্রিয় হয়ে ওঠেন। তিনি বেশ কয়েকটি অত্যন্ত রক্ষণশীল পদক্ষেপের মাধ্যমে এটি করেছিলেন, কিয়োতোর অভিজাতদের মধ্যে প্রতিপত্তি অর্জন করেছিলেন। তিনি তরুণ শোগুনকে এতে অংশ নিয়ে একটি প্রাচীন দরবার র্যাংকিং সিস্টেম ব্যবহার করেছিলেন (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ২৬)। তিনি অতীতের যে কোনও যোদ্ধা নেতার চেয়ে দরবারের সাথে শাসকগোষ্ঠীকে আরও ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত করেছিলেন। এটি করার মাধ্যমে, তিনি শাসনকে রাজদরবারের কাছাকাছি বেঁধে রেখেছিলেন, যার ফলে নানবোকু-চো দ্বন্দ্বে ইন্ধন জুগিয়েছিল এমন মতাদর্শের কলঙ্ক মুছে ফেলা হয়েছিল: আশিকাগা তাকাউজিকে সাম্রাজ্যবাদী শক্তি পুনরুদ্ধারের বিরুদ্ধে লড়াই করা বিশ্বাসঘাতক হিসাবে দেখা হয়েছিল।
জাপানি সমাজের বিভিন্ন শ্রেণির মধ্যে এর জনপ্রিয়তার কারণে দরবার সমাজ এত দীর্ঘ সময় টিকে ছিল। এস্টেট স্তরে, কৃষকরা যোদ্ধাদের চেয়ে অভিজাতদের সাথে অনেক বেশি ঘনিষ্ঠ বোধ করেছিল। অভিজাতদের ক্ষয়িষ্ণু শক্তি সত্ত্বেও, তাদের প্রভাব তাদের প্রকৃত ক্ষমতার বাইরে চলে গিয়েছিল। কারণ তারা ঐতিহ্যের বৈধতা এবং সংস্কৃতির ক্যারিশমা ধারণ করেছিল যা যোদ্ধাদের ছিল না। এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই যে ইয়োরিয়ুকি তরুণ শোগুনকে দরবারের অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিল: এই অংশগ্রহণটি মধ্যস্থতাকারী ছিল, দরবারের র্যাংকিং সিস্টেমের সর্বোচ্চ সামরিক নেতাকে জড়িত করেছিল যা বেশ কয়েক শতাব্দী আগের, এবং এর ভিত্তি হিসাবে যোদ্ধাসহ প্রত্যেকের উপর সাম্রাজ্যবাদী ধারার প্রাধান্য ছিল, যাদের সম্রাটের কাছ থেকে উপাধি পেতে হয়েছিল। এই দরবারের র্যাংকিং রীতিতে অংশ নিয়ে, আশিকাগা শাসন পুরো সমাজকে একটি শক্তিশালী বার্তা পাঠাচ্ছিল: দরবার কর্তৃক প্রদত্ত বৈধতা তখনও বৈধ এবং তখনও গুরুত্বপূর্ণ (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ২০)। এই অংশগ্রহণ যোদ্ধা শাসন এবং দরবারের মধ্যে উত্তেজনা দূর করেছিল এবং যোদ্ধা শ্রেণির মধ্যে দরবারের সংস্কৃতি প্রচারের অনিচ্ছাকৃত প্রভাব ফেলেছিল, স্বাদের একটি সংমিশ্রণ তৈরি করেছিল যা চিরকালের জন্য জাপানি সংস্কৃতির এই সময়টিকে উজ্জ্বল উদ্ভাবনের এক হিসাবে চিহ্নিত করেছে। একদিক থেকে এই অংশগ্রহণ ছিল একটি অপ্রচলিততা যা বাস্তব জগৎ থেকে সরানো বলে মনে হয়েছিল,খানে যোদ্ধারা সরাসরি ক্ষমতা প্রয়োগ করত। তবে বৈধতার প্রশ্নটি অগত্যা ক্ষমতার প্রত্যক্ষ অনুশীলনের সাথে আবদ্ধ নয়। বৈধতা মতাদর্শের সাথে আবদ্ধ, এবং অভিজাত আভিজাত্য শাসনের আদর্শিক ভিত্তি যোদ্ধাদের শাসনের চেয়ে ভাল ভিত্তি ছিল। একা শক্তি প্রয়োগ বৈধতা তৈরি করতে পারে না, এবং দরবারকে ঘিরে যে সাংস্কৃতিক পরিবেশ ছিল তা তখনও সামুরাই তরোয়ালের চেয়ে অনেক বেশি প্ররোচিত, অনেক বেশি মার্জিত ছিল। যোদ্ধারা নিজেরাই আভিজাত্যদের সংস্কৃতির প্রতি আকৃষ্ট হয়েছিল এবং উত্সাহের সাথে পরবর্তীকালের স্বাদগুলো অনুকরণ করেছিল যতক্ষণ না তারা এমন একটি সংশ্লেষণ তৈরি করতে সক্ষম হয়েছিল যা আগে যা ছিল তার বাইরে চলে গিয়েছিল যেমন জেন দ্বারা প্রভাবিত রক গার্ডেনের উত্থান অন্যান্য শিল্প ফর্মগুলোর মধ্যে যা আজ অবধি স্থায়ী প্রভাব ফেলেছে। এবং কেবল এই কারণেই, চতুর্দশ শতাব্দীর শেষ কয়েক দশক ধরে শোগুন এবং রাজদরবারের মধ্যে যে সংযোগ কার্যকর হয়েছিল, তা শোগুনের শক্তির বৈধতা প্রশস্ত করার প্রভাব ফেলেছিল।
দ্য কানরি ইয়োরিয়ুকি ১৩৬৮ সালে শেষ অর্ধ-কর ডিক্রি (হানজেই) জারি করেছিলেন। এই ডিক্রিটি একটি বিস্তৃত এবং সিদ্ধান্তমূলক মধ্যস্থতাকারী যন্ত্র ছিল যা শাসকদের সাথে মহৎ স্বার্থকে বেঁধে রাখার জন্য ব্যবহৃত হয়েছিল: এটি রাজকীয় পরিবারের মালিকানাধীন জমি, প্রধান উপাসনালয়গুলোর নিয়ন্ত্রণাধীন জমি এবং রাজকীয় রিজেন্টদের মালিকানাধীন জমি (ফুজিওয়ারা) নিষিদ্ধ করেছিল। ব্যতিক্রমগুলোর মধ্যে আভিজাত্য জমিগুলোও অন্তর্ভুক্ত ছিল যা পূর্ববর্তী শোগুন (সম্ভবত যোশিয়াকিরা?) দ্বারা সম্পূর্ণ শিরোনাম দেওয়া হয়েছিল এবং সামুরাই স্টুয়ার্ডস (জিটো) দ্বারা পরিচালিত এস্টেটগুলো (উইন্টারস্টিন ১৯৭৪: ২১৯-২০)। এই ডিক্রিটি দেশব্যাপী সমস্ত এস্টেটের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য ছিল এবং এর আসল গুরুত্ব ছিল এস্টেটগুলোতে আরও সামুরাই আক্রমণ রোধ করতে এবং ইতিমধ্যে সংঘটিত সামুরাই আক্রমণের মুখে অভিজাতদের স্বার্থ রক্ষার জন্য ব্যবহৃত শক্তিশালী ভাষা। পূর্ববর্তী অর্ধ-করের ডিক্রিগুলোর বিপরীতে, এটি রক্ষণশীল ছিল এবং এর লক্ষ্য ছিল অভিজাত জমিগুলোকে ন্যায়সঙ্গত করার পরিবর্তে বিভাজন থেকে রক্ষা করা।
১৩৬৮ অর্ধ-কর ডিক্রির সাথে, শাসনটি ১৩৫২ ডিক্রি থেকে অনেক দূরে এসেছিল। তবে ইতিমধ্যে সংঘটিত সামুরাই আক্রমণের বাস্তবতা বিপরীত করা যায়নি। এখানে, মতাদর্শগতভাবে প্রকাশ্যে যা বলা হয়েছিল তা প্রদেশগুলোতে প্রকৃতপক্ষে যা ঘটছিল তা থেকে বিচ্যুত হয়েছিল। যেমনটি আমরা উপরে দেখেছি, ১৩৬৮ ডিক্রি সত্ত্বেও এস্টেটগুলোতে সামুরাই এবং শুগো প্রভুদের আক্রমণ মারাত্মক ছিল। আর পঞ্চদশ শতাব্দীতে ভূমি দখলের এই প্রবণতা আরও প্রকট হতে থাকে। আমাকে অবশ্যই এই সিদ্ধান্তে উপনীত হতে হবে যে ১৩৬৮ ডিক্রিটি যোদ্ধাদের অব্যাহত যোদ্ধা টেকওভারের প্রমাণের কারণে এস্টেট এবং তাদের আয়ের উপর নিয়ন্ত্রণ নেওয়া থেকে বিরত রাখতে সামগ্রিকভাবে অকার্যকর ছিল। এক অর্থে, ১৩৬৮ সালের ডিক্রিটি একটি আদর্শিক দলিল ছিল যা শোগুন এবং রাজকীয় দরবারের মধ্যে প্রতিষ্ঠিত ঘনিষ্ঠ সংযোগগুলো অনুসরণ করে আভিজাত্যদের চোখে আশিকাগা শাসনকে বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। তদুপরি, আশিকাগা শোগুনরা ইচ্ছা থাকলেও এস্টেটগুলোর আয়ের উপর যোদ্ধাদের অব্যাহত আক্রমণ বন্ধ করতে সক্ষম ছিল না। যতই অকার্যকর হোক না কেন, ১৩৬৮ সালের ডিক্রি স্বীকৃত মহৎ স্বার্থ একটি যোদ্ধা শাসন দ্বারা মতাদর্শগতভাবে রক্ষা করা হয়েছিল এবং এই প্রক্রিয়ায় উভয়ের স্বার্থকে একত্রে আবদ্ধ করা হয়েছিল।
অবশেষে, ১৩৬০-এর দশকে আবির্ভূত মুরোমাচি শাসনের প্রত্যক্ষ শাসন ভৌগোলিকভাবে কান্তোতে অবস্থিত পূর্ববর্তী কামাকুরা শাসনের বিপরীতে পশ্চিম ও কেন্দ্রীয় প্রদেশগুলোতে সীমাবদ্ধ ছিল। বাইরে শুগো লর্ডস (তোজামা) আশিকাগার সাথে সম্পর্কিত নয় যেমন টেকেদা, চিবা, ইউকি, সাতাকে, ওয়ামা, উতসুনোমিয়া, শোনি, ওটোমো, আসো এবং শিমাজু পরিবারগুলো, যাদের সকলেই কানটো এবং কিউশু অঞ্চলে বা তার কাছাকাছি কেন্দ্রীভূত ছিল তারা কানরেই কাউন্সিল ব্যবস্থায় অংশ নেয়নি এবং শাসন থেকে আধা-স্বাধীন ছিল (ভার্লি ১৯৬৭: ২৯; ভার্লি ১৯৬৭: ২৯)। হল ১৯৬৬: ১৯৯)। কিয়োতো থেকে সহজে নিয়ন্ত্রিত হয়নি এমন অঞ্চলে তাদের প্রধান অবস্থানের কারণে আশিকাগা দ্বারা তাদের মৌনভাবে স্বীকৃত এবং শুগো উপাধি দেওয়া হয়েছিল (হ্যারিংটন ১৯৮৫: ৬৭)।
=== কিউশু ===
১৩৭০ সালে শুরু হওয়া কিউশু অভিযানের পর কিউশু ডেপুটি (তান্দাই) সেই দ্বীপে মুরোমাচি শাসনের প্রতিনিধি হন। ইমাগাওয়া সাদায়ো (রিওশুন) কার্যকরভাবে দক্ষিণ দরবারের বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযানের বিচার করেছিলেন এবং শিমাজু উজিহিসার বাহিনীর বিরুদ্ধে তার আক্রমণ চালিয়ে যান, প্রক্রিয়াটিতে স্থানীয় কিউশু কোকুজিনের সমর্থন অর্জন করেছিলেন (হ্যারিংটন ১৯৮৫: ৮৫-৬)। সাদায়োর মতো ডেপুটিরা তাদের নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে মুরোমাচির প্রতিনিধি ছিলেন, এমনকি যখন তারা স্থানীয় সামুরাইকে করদের পুরো ক্ষমতা অহংকার করেছিলেন। উদাহরণস্বরূপ, ১৩৭৭ সালে সাদায়ো এবং একষট্টি জন স্থানীয় সামুরাইয়ের সমন্বয়ে একটি সামুরাই জোট (ইক্কি) এর মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। চুক্তিতে শর্ত দেওয়া হয়েছিল, জোটের সদস্যদের মধ্যে সমস্ত বিরোধ কিউশু ডেপুটির কাছে নিয়ে যাওয়া হবে, যখন জোটের সদস্য এবং ডেপুটির মধ্যে বিরোধগুলো কিয়োতোর মুরোমাচি শাসনে নিয়ে যাওয়া হবে (হ্যারিংটন ১৯৮৫: ৮৭)। কিউশু ডেপুটি ছিলেন একজন মধ্যস্থতাকারী ব্যক্তিত্ব যিনি শাসকদের স্বার্থ এবং তার এখতিয়ারাধীন স্থানীয় অঞ্চলের স্বার্থকে একত্রিত করেছিলেন। স্বাধীনতার প্রলোভনের কারণে এটি একটি অনিশ্চিত অবস্থান ছিল। তবে যে কোনও কারণেই হোক না কেন, মুরোমাচি শাসন পুরো জাতির উপর তাদের সরাসরি নিয়ন্ত্রণ প্রসারিত করেনি এবং তাই জবরদস্তিমূলক ও মধ্যস্থতাকারী যন্ত্রের মাধ্যমে এই অঞ্চলের শুগো প্রভু এবং সামুরাইকে প্রভাবিত করার জন্য তাদের প্রতিনিধি হিসাবে কাজ করার জন্য কিউশু ডেপুটির মতো নিয়োগকারীদের উপর নির্ভর করতে এসেছিল।
=== কান্তো ===
চতুর্দশ শতাব্দীর শেষের দিকে, কানটো অঞ্চলটি শক্তিশালী যোদ্ধা পরিবারগুলোর দ্বারা আধিপত্য ছিল। এর মধ্যে উসুগিরা ছিল সবচেয়ে শক্তিশালী। তারা তাদের নিজস্ব স্বার্থ এগিয়ে নেওয়ার জন্য এই অঞ্চলের পরিবারগুলোর মধ্যে ছড়িয়ে পড়া লড়াইয়ের সুযোগ নিতে সক্ষম হয়েছিল। ১৩৬৮ সালে উৎসুনোমিয়া পরিবার মুরোমাচি শাসনের কামাকুরা সদর দফতরের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছিল। কারণ তারা উয়েসুগির কাছে তাদের শুগো পোস্ট হারিয়েছিল। উসুগি পরিবার তাদের এখতিয়ারের অধীনে শুগো পোস্ট সংগ্রহ করে এবং অন্যান্য পরিবারের ব্যয়ে কান্টো অঞ্চলে করদ রাজ্যগুলোর ঘিরে ফেলে তাদের প্রভাব প্রসারিত করতে সক্ষম হয়েছিল (হ্যারিংটন ১৯৮৫: ৮২-৩)। কেউ একটি তত্ত্ব এগিয়ে নিতে পারে যে কান্টো অঞ্চলটি কিয়োতো থেকে আধা-স্বাধীন হয়ে উঠেছে এবং উসুগি সমর্থনের কারণে মুরোমাচি শাসনের কামাকুরা সদর দফতর বিদ্যমান ছিল। উয়েসুগি পরিবার তাদের অনাকাঙ্ক্ষিত অবস্থানের কারণে কান্টো কানরেই পদে তাদের নিয়োগের মাধ্যমে মুরোমাচি সরকার কর্তৃক আইনত স্বীকৃত হয়েছিল।
মুরোমাচি শাসনের কামাকুরা সদর দফতর কিউশু ডেপুটি (তান্দাই) এর মতোই কাজ করেছিল: এটি আঞ্চলিক মধ্যস্থতাকারী অফিসে পরিণত হয়েছিল যার মাধ্যমে শাসনের আদেশ বহির্মুখী কানটো অঞ্চলে প্রেরণ করা হয়েছিল। উপরে দেখা বাস্তবে কান্টো উসুগির মতো শক্তিশালী পরিবার দ্বারা আধিপত্য ছিল। ক্রমবর্ধমানভাবে, কামাকুরা সদর দফতর মুরোমাচি শাসন থেকে স্বাধীন হয়ে ওঠে এবং সমস্ত প্রয়োজনীয় উদ্দেশ্যে আঞ্চলিক বিরোধ, আঞ্চলিক কর আরোপের যত্ন নেয় এবং কিয়োতোর মুরোমাচি সরকারের ন্যূনতম উল্লেখ সহ কান্টোতে শুগো প্রভুদের সাথে সম্পর্ক গড়ে তোলে - যদিও জায়গীর নিশ্চিত করার অধিকার এবং শুগো নিয়োগ অনুমোদনের অধিকার প্রযুক্তিগতভাবে কিয়োতোর হাতে রয়ে গেছে (হ্যারিংটন ১৯৮৫: ৮৩-৫)।
=== আশিকাগা শক্তির কেন্দ্রীকরণ এবং নানবোকু-চো যুদ্ধের সমাপ্তি: ১৩৭৯–১৩৯৯ ===
১৩৬০-এর দশকের গুরুত্বপূর্ণ দশকে একের পর এক প্রতিরোধের ক্ষেত্র মুরোমাচি শাসনের হাতে পড়েছিল: স্পষ্টতই, ওচি এবং ইয়ামানার মতো শক্তিশালী শুগো প্রভুরা নিজেদেরকে আধা-স্বাধীন প্রভু হিসাবে জমা দিয়েছিলেন; সময় যত গড়িয়েছে ততই দক্ষিণ দরবারের প্রতিরোধ আরও নিরর্থক হয়ে উঠেছে। সামরিকভাবে শাসনব্যবস্থা ১৩৬৬৬৬৬৬ সালে শুগো প্রভুদের তাদের নিজস্ব সহকর্মীদের একজনকে আক্রমণ করার আহ্বান জানাতে সক্ষম হয়েছিল, শোগুনাল নিয়ন্ত্রণে শুগোর ক্রমবর্ধমান অধীনতার দিকে ইঙ্গিত করে। কানরেই কাউন্সিল সিস্টেম তৈরি এবং বাকুফু আমলাতন্ত্রে শক্তিশালী শুগো পরিবারগুলোর ক্রমবর্ধমান অংশগ্রহণের সাথে হাত মিলিয়ে রাজকীয় দরবারের সাথে সম্পর্ক শাসনের বৈধ ভিত্তিকে আরও প্রশস্ত করেছিল। এই মূল বিকাশগুলো কেবল শোগুনাল নিয়ন্ত্রণ বাড়ানোর জন্যই নয়, শুগো প্রভু এবং অভিজাতদের স্বার্থকে শাসনের সাথে আরও ঘনিষ্ঠভাবে আবদ্ধ করার জন্য ব্যবহৃত হয়েছিল। [১৮] তবে ভৌগোলিকভাবে, মুরোমাচি শাসনের পরিধি সীমিত ছিল, কানটো এবং কিউশু অঞ্চলের এখতিয়ার আঞ্চলিক প্রতিনিধিদের কাছে অর্পণ করে এবং হনশুর কেন্দ্রীয় ও পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশগুলোর উপর কমবেশি সরাসরি নিয়ন্ত্রণ রেখেছিল।
১৩৭৯ সালে যোশিমিতসুর কর্তৃত্ব গ্রহণের পঞ্চাশ বছর পর মুরোমাচি শাসন দেশের অপ্রতিদ্বন্দ্বী সরকার হিসাবে তার সবচেয়ে শক্তিশালী পর্যায়ে প্রবেশ করেছিল। শোগুনের নিয়ন্ত্রণ বাড়ার সাথে সাথে শোগুন এবং শুগো প্রভুদের মধ্যে সংযোগ আরও শক্ত হয়েছিল। প্রধান যন্ত্র এবং তাদের প্রভাবগুলো যা শোগুনকে শুগো প্রভুদের উপর নিয়ন্ত্রণ প্রয়োগ করতে এবং জড়িত শাসনের বৈধতার ভিত্তিকে প্রশস্ত করতে সক্ষম করেছিল: ১) মুরোমাচি শাসন এবং রাজকীয় দরবারের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের ধারাবাহিকতা; ২) শুগো প্রভুদের লক্ষ্য করে বাধ্যতামূলক আবাসিক নীতি; ৩) শোগুণাল আর্মির (গোবাঁশু) অধিকতর উন্নয়ন; ৪) বেশ কয়েকটি শুগো প্রভুর জোট ব্যবহার করে শোগুনাল আধিপত্যের উত্থান। ৫) শাসকগোষ্ঠী কর্তৃক বাণিজ্যিক ও কৃষি রাজস্ব এবং করের ব্যবহার। এই সমস্ত পরিবর্তনগুলো কেন্দ্রীভূত শক্তির অব্যাহত প্রবণতার উদাহরণ দেয় যা শাসনের শক্তি বৃদ্ধি করেছিল। আশিকাগা এবং সাম্রাজ্যীয় দরবার
অধীনে যোশিমিতসু (সক্রিয় ১৩৭৯–১৪০৮) যিনি ইয়োরিয়ুকিকে বরখাস্ত করার পরে ক্ষমতার লাগাম ধরেছিলেন কানরেই, এই বিশেষ সংযোগের প্রভাবগুলো জাপানি ইতিহাসের অন্যতম উজ্জ্বল সময়কে উত্সাহিত করেছিল, স্থাপত্য ও সাংস্কৃতিক ফর্মগুলোর পরিপক্কতার জন্য বিখ্যাত যা তখন থেকে জাপানি সংস্কৃতির বৈশিষ্ট্যযুক্ত। রাজদরবার এবং এর সংস্কৃতির সাথে তাঁর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক এবং নতুন শিল্পের প্রতি তাঁর পৃষ্ঠপোষকতা সামরিক অভিজাতদের কাছে বিশেষত শুগো প্রভুদের মাধ্যমে এই সংস্কৃতি ছড়িয়ে দিতে সহায়তা করেছিল (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ৩১-৩২; গ্রসবার্গ ১৯৮১: ৩১-৩২)। কাওয়াই ১৯৭৭: ৭২)। শোগুন এবং রাজকীয় দরবারের মধ্যে এই সংযোগ উভয় প্রতিষ্ঠানে অতিরিক্ত মর্যাদা এনেছিল এবং শোগুনকে নাগরিক বৈধতা এবং সংস্কৃতির আভা দিয়েছিল যা পূর্ববর্তী কামাকুরা শাসনের অভাব ছিল।
দরবারের প্রতিষ্ঠানগুলোতে অংশ নিয়ে, শোগুন দরবারের সংস্কৃতির বেশিরভাগ পরিমার্জিত বিনোদনও গ্রহণ করেছিলেন। পূর্ব প্রাতিষ্ঠানিক সংযোগের ফলে সাংস্কৃতিক সাধনা এসেছিল। আদর্শিক ন্যায্যতার সাথে সংস্কৃতির আরও মিল রয়েছে: যেমনটি আমরা আগের বিভাগে দেখেছি, দরবারের সংস্কৃতির বেশিরভাগ অংশ যোদ্ধাদের কাছে অস্বীকার করা বৈধতা উপভোগ করেছিল।
=== বলপ্রয়োগের একচেটিয়া: বাধ্যতামূলক বাসস্থান ===
শোগুন-শুগো সম্পর্কের দিকে অগ্রসর হয়ে, ১৩৮০-এর দশকে কানরেই কাউন্সিল ব্যবস্থাটি যোশিমিতসু দ্বারা শক্তিশালী করা হয়েছিল যখন তিনি পশ্চিম ও মধ্য শুগো প্রভুদের কিয়োতোতে বাসস্থান নিতে রাজি করেছিলেন। এমনকি তিনি ১৩৮৯ সালে ওউচি ইয়োশিহিরোর সাথে দেখা করতে গিয়েছিলেন এবং তার তথাকথিত তীর্থযাত্রার সময় তাকে কিয়োতোতে বাস করতে রাজি করান। এই সার্কিটগুলো তিনি যে প্রদেশগুলোতে ভ্রমণ করেছিলেন সেগুলোর মাধ্যমে তাঁর শক্তি প্রদর্শন করতে ব্যবহৃত হয়েছিল (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ২৯-৩০)। যোশিমিতসু যে বাধ্যতামূলক আবাসিক নীতি চালু করেছিলেন তা ছিল প্রধান জবরদস্তিমূলক নীতি যা কানরেই কাউন্সিল ব্যবস্থাকে সহায়তা করেছিল এবং শোগুনকে শুগো প্রভুদের চারপাশে তার খপ্পর শক্ত করতে সক্ষম করেছিল। রাজধানী শহর ছেড়ে যাওয়ার অনুমতি খুব কমই শুগো প্রভুকে দেওয়া হয়েছিল: এটি কেবল সিনিয়র করদ রাজ্য কাউন্সিলে আলোচনার পরে মঞ্জুর করা হয়েছিল। এমনকি প্রাদেশিক বিদ্রোহ বা দক্ষিণ দরবারের গেরিলা কার্যকলাপের ক্ষেত্রে অনুমতি দেওয়া হলেও, উপযুক্ত জিম্মিদের কিয়োতোতে রেখে দেওয়া হয়েছিল। যদি শুগো প্রভু অনুমতি ছাড়াই চলে যান তবে এটি রাষ্ট্রদ্রোহের সমতুল্য হিসাবে দেখা হত (কাওয়াই ১৯৭৭: ৬৮-৯; তনুমা ১৯৭৬: ১৩)।
কান্তো এবং কিউশু শুগোকে কিয়োতোতে বাধ্যতামূলক বসবাসের এই আদেশ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল। যাইহোক, মুরোমাচি শাসনের কামাকুরা সদর দফতর কান্টো শুগো প্রভুদের ক্ষেত্রে অনুরূপ নীতি প্রবর্তন করেছিল এবং তাদের কামাকুরায় প্রাসাদ প্রতিষ্ঠা করতে বাধ্য করেছিল যেমন পশ্চিম ও কেন্দ্রীয় শুগো প্রভুরা কিয়োতোতে প্রাসাদ তৈরি করেছিল (কাওয়াই ১৯৭৭: ৬৮)। কিয়োতোতে ম্যানশন বিল্ডিং ফ্যাশনেবল হয়ে ওঠে এবং শেষ পর্যন্ত কিউশুর শিমাজুর মতো শুগো প্রভুদের অন্তর্ভুক্ত করে, যিনি কিয়োতোতে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যদিও তার এটি করার প্রয়োজন ছিল না। শুগো প্রভুদের সত্যিই এই বিষয়ে খুব কম পছন্দ ছিল। তারা হয় কিয়োতোতে বাস করত অথবা শাসকগোষ্ঠীর বিশ্বাসঘাতক হিসাবে চিহ্নিত হয়েছিল। কানরেই কাউন্সিল সিস্টেমের মতো প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি, বাধ্যতামূলক আবাসিক নীতির জাতীয় দৃষ্টিকোণ থেকে এবং প্রাদেশিক দৃষ্টিকোণ থেকে উভয়ই অগণনীয় প্রভাব ছিল। প্রারম্ভিকদের জন্য, শুগো প্রভুদের শক্তি এই নীতি দ্বারা মারাত্মকভাবে সীমাবদ্ধ ছিল: তাদের চলাচলের স্বাধীনতা অবরুদ্ধ করা হয়েছিল। দ্বিতীয়ত, পঞ্চদশ শতাব্দীর দ্বিতীয় চতুর্থাংশে সময় অতিবাহিত হওয়ার সাথে সাথে প্রদেশগুলোতে প্রকৃত শক্তি শুগো প্রভুদের কাছ থেকে দূরে সরে যায় এবং ডেপুটি শুগো (শুগো-দাই) এবং প্রদেশগুলোতে বসবাসকারী অন্যান্য স্বাধীন সামুরাই (কোকুজিন) এর উপর বিশ্রাম নেয়। সুতরাং, শুগো প্রভুদের দৃষ্টিকোণ থেকে বাধ্যতামূলক আবাসিক নীতি দীর্ঘমেয়াদী বিপর্যয় হিসাবে প্রমাণিত হয়েছিল (কাওয়াই ১৯৭৭: ৭৩)। ডেপুটি শুগোর নিয়োগের প্রয়োজন ছিল বাধ্যতামূলক আবাসিক নীতি যদি শুগো প্রভুরা প্রদেশগুলোতে তাদের ক্ষমতা বজায় রাখতে চায়। স্বল্পমেয়াদে, শাখা পরিবারের সদস্যদের এবং সামুরাই কোকুজিনকে ডেপুটি শুগো হিসাবে নিয়োগ দেওয়া এবং প্রদেশগুলোতে তাদের নিজস্ব প্রতিনিধি হিসাবে ব্যবহার করা ভাল কাজ করেছিল; কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে, শুগো প্রভুদের হাত থেকে ক্ষমতা তাদের ভাড়া করা লোকদের হাতে চলে যায়।
=== শোগুনাল আর্মি ===
ইয়োশিমিতসু সামরিক শক্তি প্রয়োগ করে শুগো প্রভুদের আনুগত্যে নামিয়ে আনতে দ্বিধা করেননি এই অজুহাতে যে তারা খুব শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। তিনি তাঁর উপর নির্ভরশীল প্রায় তিন হাজার যোদ্ধা নিয়ে পাঁচটি বিভাগ নিয়ে গঠিত একটি নতুন শোগুনাল সেনাবাহিনী (গোবাঁশু) একত্রিত করেছিলেন (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ১০৬-৭)। এই বাহিনীটি একটি শক্তিশালী অ্যারে ছিল, বিশেষত যখন তারা অন্যান্য শুগো প্রভুদের অবদানের দ্বারা বৃদ্ধি পেয়েছিল। শোগুনাল সেনাবাহিনীর গুরুত্ব পরিমাণের বাইরে চলে যায়। তবে এই বাহিনীটি যা প্রতিনিধিত্ব করে তার উপর আরও আঘাত করে: কোকুজিন সামুরাই দ্বারা গঠিত তার নিজস্ব করদ রাজ্যগুলোর সাথে শোগুনকে সরাসরি সংযুক্ত করে একটি পৃথক বাহিনী। শোগুনাল সেনাবাহিনী শুগো বাহিনীর উপর নজরদারি হিসাবে কাজ করেছিল। দ্বিতীয় অধ্যায়ে আমরা দেখেছি, প্রথম আশিকাগা শোগুন, তাকাউজি, সামুরাই স্টুয়ার্ডদের সাথে এস্টেটের জমিতে আবদ্ধ করে তাদের সাথে সম্পর্ক তৈরি করেছিল। প্রারম্ভিক মুরোমাচি সময়কালে, শোগুনের কমান্ডের অধীনে এই পৃথক করদ রাজ্য শ্রেণিবিন্যাস শুগো শক্তির উপর একটি গুরুত্বপূর্ণ চেক ছিল। আমরা দেখব এই পূর্ববর্তী সেনাবাহিনী যোশিমিতসুর শোগুনাল সেনাবাহিনী থেকে কীভাবে আলাদা ছিল।
শোগুনাল সেনাবাহিনীর দুটি উপাদান ছিল: শোগুনাল দেহরক্ষী (শিনইগুন) আশিকাগা শাখা পরিবারের সদস্য, শুগো আত্মীয় এবং শুগো শাখার পরিবারের সদস্য, শাসক কর্মকর্তাদের অন্যান্য পুত্র ও ভাই এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণভাবে, শক্তিশালী কোকুজিন নিয়ে গঠিত। সংখ্যায় (বড়জোর সাড়ে তিনশো পুরুষ), এই দলটি একটি সুসংহত এবং অনুগত সংস্থা ছিল, যে কোনও মূল্যে শোগুনের ব্যক্তিকে রক্ষা করতে প্রস্তুত ছিল (আর্নেসেন ১৯৮৫: ১০২)। এই ছোট্ট ব্যান্ডের চারপাশে শোগুনের বেশ কয়েকটি প্রত্যক্ষ করদ রাজ্য ছিল যা ১৩৩৬ সালে এর উত্সটি সন্ধান করেছিল, যখন শোগুন তাকাউজি অনেক সামুরাইকে বাড়ির করদ রাজ্য হিসাবে ঘিরে ফেলেছিল যারা সম্ভবত রিজার্ভ সেনাবাহিনী হিসাবে ব্যবহৃত হয়েছিল (গে ১৯৮৬: ৯৫-৬); শোগুনাল দেহরক্ষীর সদস্যদের সাথে সংযুক্ত বৃহত্তর সংখ্যক পরোক্ষ করদ রাজ্য সম্ভবত যোশিমিতসুর অধীনে শোগুনাল সেনাবাহিনীর বেশিরভাগ অংশ তৈরি করেছিল। এই শেষ পয়েন্টটি আর্নেসেন দ্বারা ভালভাবে চিত্রিত হয়েছে, যিনি গণনা করেছিলেন যে শোগুনাল দেহরক্ষীতে সরাসরি করদ রাজ্যের সংখ্যা ষোড়শ শতাব্দীর শেষের দিকে হোজো বংশের অধীনে তালিকাভুক্ত প্রত্যক্ষ করদ রাজ্যের সংখ্যা ষাট থেকে সত্তর শতাংশ ছিল (১৯৮৫: ১২৬)। এবং যদি প্রয়াত হোজো ওডাওয়ারা অভিযানে পঞ্চাশ হাজার সৈন্য মাঠে নামাতে সক্ষম হত। তবে সাড়ে তিনশো শোগুনাল দেহরক্ষী সহজেই তাদের নিজস্ব করদ রাজ্যগুলোর একত্রিত করতে পারত যা গ্রসবার্গ দাবি করেছেন যে তিন হাজার সৈন্য নিয়ে এসেছিল যা গ্রসবার্গ দাবি করেছিলেন যে ১৩৯১ এর মেইটোকু রাইজিং (১৯৮১: ১০৭)। শোগুনাল দেহরক্ষীর সৃষ্টি এবং অন্যান্য শোগুনাল করদ রাজ্যগুলোর উপর এই গোষ্ঠীর কেন্দ্রীয় অবস্থানই যোশিমিতসুর শোগুনাল সেনাবাহিনীকে তাকাউজির শোগুনাল করদ রাজ্য থেকে পৃথক করে। নতুন শোগুনাল সেনাবাহিনীর সাথে একটি শক্ত সংগঠন এবং এসপ্রিট ডি কর্পস আবির্ভূত হয়েছিল।
=== শক্তিশালী শুগোকে পরাজিত করতে শুগো জোটের উসকো ===
তবে যুদ্ধের ময়দানে কানরেই শ্রেণির শুগো প্রভুদের সাথে দেখা করতে এবং পরাজিত করার জন্য একা শোগুনাল সেনাবাহিনী পর্যাপ্ত ছিল না। তবে যোশিমিতসু যে ধরণের যুদ্ধ অনুশীলন করেছিলেন তার জন্য পুরোপুরি উপযুক্ত ছিল: একজন শুগো প্রভুকে পরিবারের সদস্যের বিরুদ্ধে এবং অন্যান্য শুগো প্রভুদের বিরুদ্ধে দাঁড় করানো। পূর্ববর্তী শোগুনের অধীনে উত্থিত নতুন শোগুনাল আধিপত্য, যোশিয়াকিরা, যোশিমিতসুর রাজনীতিতে আধিপত্য বিস্তার করতে এসেছিল। শোগুনাল প্রতিপত্তি অনানুষ্ঠানিকভাবে নির্দেশ দিয়েছিল যে কোনও একক শুগো প্রভু শোগুনের ক্রোধের শিকার না হয়ে ক্ষমতার একটি নির্দিষ্ট স্তর অতিক্রম করবেন না। এটি শুগো প্রভুদের নিজেদের স্বার্থেই ছিল যে তাদের নিজস্ব সহকর্মীদের কেউই বাকিদের উপর খুব বেশি শক্তিশালী এবং প্রভাবশালী হয়ে উঠবে না (ভার্লি ১৯৬৭: ৬৩-৬৪)।
এই নীতি অনুসরণ করে ১৩৮৯ সালে যোশিমিতসু মিনো, আইসে এবং ওওয়ারি প্রদেশের শুগো প্রভু টোকি ইয়াসুয়ুকিকে পরবর্তী প্রদেশটি এক আত্মীয়ের কাছে ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। ইয়াসুয়ুকি প্রত্যাখ্যান করেছিলেন এবং যোশিমিতসু ইয়াসুয়ুকির চাচাতো ভাই ইয়োরিমাসুকে তাকে আক্রমণ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। তিন বছর পরে ইয়াসুয়ুকি পরাজিত হন এবং ১৩৯১ সালে মিনো প্রদেশটি টোকি ইয়োরিমাসুকে ছেড়ে দেন (পাপিনোট ১৯৭২: ৬৫৯)। ইয়োশিমিতসুর কাছে যে প্রদেশটি ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল তা মিনো বা ওওয়ারি ছিল কিনা তা বিবেচ্য ছিল না যতক্ষণ না টোকি ইয়াসুয়ুকি কেন্দ্রীয় প্রদেশগুলোতে তার কিছু ক্ষমতা ছিনিয়ে নিয়েছিল।
১৩৯১ সালে মেইতোকু রাইজিং (রান) এর আগে, ইয়ামানা পরিবারের পশ্চিম ও মধ্য জাপানের এগারোটি প্রদেশ ছিল। এটি তাদেরকে দেশের সবচেয়ে শক্তিশালী শুগো পরিবারে পরিণত করেছিল। যোশিমিতসু তাদের আক্রমণ করার জন্য একটি অজুহাত খুঁজছিলেন। যখন ইয়ামানা মিতসুয়ুকি (যিনি ইজুমো, তাম্বা, হোকি এবং ওকি প্রদেশগুলোর উপর শুগো ছিলেন) ইজুমোতে রাজকীয় পরিবারের কিছু সম্পত্তি দখল করেছিলেন, যোশিমিতসু মিতসুয়ুকির বিরুদ্ধে অভিযানের পরিকল্পনা করার জন্য প্রাক্তন-কানরেই হোসোকাওয়া ইয়োরিয়ুকিকে স্মরণ করেছিলেন (পাপিনোট ১৯৭২: ৭৪৪)। ইয়ামানা শুগো প্রভু মিতসুয়ুকি এবং উজিকিও কিয়োতো আক্রমণ করেছিলেন, কিন্তু ওউচি যোশিহিরোর বাহিনীর সাথে কনসার্টে শোগুনাল সেনাবাহিনীর কাছে মারাত্মকভাবে পরাজিত হয়েছিলেন (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ৩০,১০৭; গ্রসবার্গ ১৯৮১: ৩০,১০৭; গ্রসবার্গ ১৯৮১: ৩০,১০৭)। আর্নেসেন ১৯৭৯: ৮২)। শোগুনের বাহিনী গঠিত অন্যান্য শুগো দলগুলোর প্রত্যেকের সংখ্যা তিন শতাধিক ঘোড়সওয়ারের বেশি ছিল না (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ১০৭)। অভিযানের পর ইয়ামানাকে কেবল দুটি প্রদেশ বরাদ্দ করা হয়েছিল, তাজিমা এবং হকি, এবং বিদ্রোহের নেতাদের হত্যা করা হয়েছিল, যুদ্ধে উজিকিও এবং ১৩৯৫ সালে হত্যার মাধ্যমে মিতসুইউকি (পাপিনোট ১৯৭২: ৭৪৪)। ১৩৯৯ সালে এক শুগো প্রভুর বিরুদ্ধে আরেক শুগো লর্ডের এই দাঁড় তুঙ্গে ওঠে। হাস্যকরভাবে, এবার লক্ষ্যবস্তু ছিল ওউচি ইয়োশিহিরো, যিনি ইয়ামানার বিরুদ্ধে প্রচারণায় শাসকদের ভালভাবে সেবা করেছিলেন। যোশিহিরোকে ১৩৯৭ সালে শোনি আক্রমণ করার আদেশ দেওয়া হয়েছিল যা তিনি করেছিলেন, প্রক্রিয়াটিতে তার ভাইকে হারিয়েছিলেন। পরে তিনি যোশিমিতসুর বাইজেন্টাইন দ্বিচারিতা সম্পর্কে শিখেছিলেন: শোনিকেও ওচি আক্রমণ করার আদেশ দেওয়া হয়েছিল। এই দ্বিচারিতায় ক্ষুব্ধ হয়ে এবং শোগুন যখন তাকে কিয়োতোতে ডেকে পাঠায় তখন তার জীবনের ভয়ে তিনি অবাধ্য হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ৩২)। অবাক হওয়ার কিছু নেই যে, শাসকগোষ্ঠী তাকে শত্রু ঘোষণা করেছিল। এ সাকাইয়ের যুদ্ধ, যোশিমিতসু পাঁচটি শুগো প্রভুর বাহিনী, হোসোকাওয়া, আকামাতসু, কিয়োগোকু, শিবা এবং হাতাকিয়ামার বাহিনী সহ শহরে আগুন লাগিয়ে যোশিহিরোর প্রতিরক্ষামূলক কাজগুলোকে অভিভূত করেছিল (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ৩৩; গ্রসবার্গ ১৯৮১: ৩৩)। সানসোম ১৯৬১: ১৪৯)। যোশিমিতসুর নেতৃত্বে মিত্র বাহিনী ওচির ৫,০০০ যোদ্ধার বিপরীতে ৩০,০০০ যোদ্ধা ছিল: যোশিহিরো কেবল যুদ্ধে অভিভূত হয়েছিলেন যেখানে তিনি আত্মহত্যা করেছিলেন (আর্নেসেন ১৯৭৯: ৮২,৮৬)। এই পূর্ববর্তী প্রতিটি উদাহরণ যেমন ব্যাখ্যা করে, শোগুনাল আধিপত্য খুব কার্যকর হয়ে ওঠে। এটি শুগো প্রভুদের সহকর্মীদের আক্রমণ ও ধ্বংস করে বিভক্ত করার জন্য ব্যবহৃত হয়েছিল। শোগুনাল আধিপত্য শোগুনাল সেনাবাহিনীর সাথে তাদের বাহিনীকে একত্রিত করতে শুগো প্রভুদের সহযোগিতা ছাড়া সফল হত না। তবে শোগুনাল সেনাবাহিনী এবং শাসকগোষ্ঠীর অন্যান্য ব্যয় নির্বাহের জন্য অর্থ না থাকলে এই জবরদস্তিমূলক নীতি অকল্পনীয় ছিল।
=== রাজস্ব ===
চতুর্দশ এবং পঞ্চদশ শতাব্দীর শেষের দিকে কিয়োতো অর্থনৈতিক কার্যকলাপের জন্য একটি উজ্জ্বল কেন্দ্র ছিল। শোগুন যোশিমিতসুর অধীনে উদ্ভূত বাধ্যতামূলক আবাসিক নীতির সাথে, শুগো প্রভুরা তাদের করদ রাজ্য এবং চাকরদের সাথে শহরের বিশিষ্ট জনগোষ্ঠীতে যুক্ত হয়েছিল যার মধ্যে অভিজাত, রাজকীয় দরবার এবং মুরোমাচি সরকার অন্তর্ভুক্ত ছিল। এটি বিভিন্ন পণ্য ও পরিষেবাদির জন্য একটি বিশাল বাজারে অনুবাদ করেছিল যা শহরের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে উত্সাহিত করেছিল। রাজধানীতে বসবাসকারী শোগুন এবং শুগো প্রভু উভয়ের জন্যই এই বৃদ্ধি গুরুত্বপূর্ণ ছিল: তারা ধারাবাহিকভাবে মহাজনদের সম্পদ (সাকায়া-দোসো) ব্যবহার করেছিল। শোগুন এমনকি তাদের শহরে কর আদায়কারী হিসাবে নিয়োগ করেছিল (কাওয়াই ১৯৭৭: ৭১; গ্রসবার্গ ১৯৮১: ৩৭,৭৮-৮০)। পূর্ববর্তী কামাকুরা শাসন থেকে মুরোমাচি শাসনকে এত আলাদা করে তুলেছিল তার আয়ের ভিত্তি। এর বেশিরভাগ রাজস্ব তার জমি বেস ছাড়াও বাণিজ্যিক কর থেকে এসেছিল।
প্রশাসন বোর্ড (ম্যান্ডোকোরো) মুরোমাচি শাসনের রাজস্ব সম্পর্কিত বিষয়গুলোর জন্য ক্লিয়ারিং হাউস হিসাবে ব্যবহৃত হত। এটি প্রধান আমলাতান্ত্রিক অঙ্গ ছিল যা করের উদ্দেশ্যে শহরের বিভিন্ন বাণিজ্যিক গোষ্ঠীর সাথে শাসনকে সংযুক্ত করেছিল। ১৩৯৩ সালে শাসন সরাসরি মহাজনদের উপর কর আরোপের অধিকারকে বৈধ করে (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ৭৮,৯৫-৬)। কিয়োতোতে মূল্যায়ন করা বাণিজ্যিক করগুলো নতুন নগর ভিত্তিক মুরোমাচি শাসনের ভিত্তি হয়ে ওঠে এবং সিদ্ধান্তমূলকভাবে শাসনব্যবস্থার প্রকৃতিকে কেবলমাত্র জমিদার সম্পত্তির উপর ভিত্তি করে একটি শাসনব্যবস্থায় পরিবর্তন করে আংশিকভাবে বাণিজ্য ভিত্তিক একটি শাসনব্যবস্থায় পরিণত করে।
ঐতিহ্যবাহী কৃষিভিত্তিক রাজস্ব তিনটি প্রধান উৎস থেকে আসত: শোগুনাল এস্টেট থেকে, শোগুনাল সামন্ত থেকে এবং শুগো প্রভুদের বিরুদ্ধে নির্ধারিত কর থেকে। আশিকাগা শোগুনদের অবতরণ ঘাঁটি তাদের উত্তরসূরিদের তুলনায় নগণ্য ছিল, টোকুগাওয়া; তবে কিয়োতো এবং কান্টো অঞ্চলের মধ্যে প্রায় দুই শতাধিক শোগুনাল এস্টেট (গরিওশো) ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল এবং এই এস্টেটগুলো থেকে উত্তোলিত রাজস্ব উল্লেখযোগ্য ছিল (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ৭০-৩)। তদুপরি, শোগুনাল এস্টেট এবং শোগুনাল সেনাবাহিনীর মধ্যে সংযোগ নির্ধারক ছিল: সেনাবাহিনীতে দায়িত্ব পালনকারী কিছু পুরুষ শোগুনের ব্যক্তিগত সম্পত্তির পরিচালকও ছিলেন (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ১১২)। তদুপরি, অনেক স্থানীয় সামুরাই সরাসরি শাসনকে (কিয়োসাই) ভূমি কর প্রদান করেছিল যা তারা হাউস করদ রাজ্য (গোকেনিন) হিসাবে উপভোগ করেছিল, প্রক্রিয়াটিতে শুগো ট্যাক্স সংগ্রহকারীদের কাছ থেকে টিকা দেওয়া হয়েছিল (গ্রসবার্গ ১৯৮১; গ্রসবার্গ ১৯৮১)। উপরন্তু, শুগো প্রভুদের সরাসরি কর আদায় করা হয়েছিল (শুগো শুসেন) তারা কতগুলো প্রদেশ পরিচালনা করেছিল সে অনুসারে। যখনই কোনও বিল্ডিং তৈরি বা ঠিক করার জন্য ছিল এবং যখন শোগুনের বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য নগদ অর্থের প্রয়োজন হয়েছিল তখন শাসকরা এটি মূল্যায়ন করেছিল (কাওয়াই ১৯৭৭: ৭১; কাওয়াই ১৯৭৭: ৭১)। গ্রসবার্গ ১৯৮১: ৭৪)। কিয়োতো এবং ইয়ামাশিরো প্রদেশের উদীয়মান বাজার অর্থনীতির কারণে মুরোমাচি শাসনের রাজস্বের উত্সগুলো কামাকুরা শাসনের চেয়ে অনেক বেশি পরিমাণে বৈচিত্র্যময় ছিল। এটি মহাজনদের কাছ থেকে বাণিজ্যিক রাজস্ব আদায় হিসাবে অভিনব আকারে এসেছিল (সাকায়া দোসো): মুরোমাচি আমলাতন্ত্রের ক্ষমতা কাঠামো কার্যকরভাবে কিয়োতো শহরটি দখল করার পরে একটি কর মূল্যায়ন করা হয়েছিল।
== দক্ষিণ দরবারের সম্রাট ==
* সম্রাট গো-দাইগো「後醍醐天皇」(১২৮৮–১৩৩৯, রাজত্বকাল ১৩১৮–১৩৩৯)
* সম্রাট গো-মুরাকামি「後村上天皇」(১৩২৮–১৩৬৮, রাজত্বকাল ১৩৩৯–১৩৬৮))
* সম্রাট চোকেই「長慶天皇」((১৩৪৩–১৩৯৪, রাজত্বকাল ১৩৬৮-১৩৮৩)
* সম্রাট গো-কামেয়ামা「後亀山天皇」(১৩৪৭-১৪২৪, রাজত্বকাল ১৩৮৩-১৩৯২)
== উত্তর দরবারের সম্রাট ==
* উত্তর আশিকাগা দাবিদার ১: সম্রাট কোগন「光厳天皇」(১৩১৩–১৩৬৪, রাজত্বকাল ১৩৩১–১৩৩৩)
* উত্তর আশিকাগা দাবিদার ২: সম্রাট কোমিয়ো「光明天皇」(১৩২২–১৩৮০, রাজত্বকাল ১৩৩৬–১৩৪৮)
* উত্তর আশিকাগা দাবিদার ৩: সম্রাট সুকো「崇光天皇」(১৩৩৪–১৩৯৮, রাজত্বকাল ১৩৪৮–১৩৫১)
* অন্তর্বর্তীকাল, নভেম্বর ২৬, ১৩৫১ থেকে ২৫ সেপ্টেম্বর, ১৩৫২ পর্যন্ত
* উত্তর আশিকাগা দাবিদার ৪: সম্রাট গো-কোগন「後光厳天皇」(১৩৩৮–১৩৭৪, রাজত্বকাল ১৩৫২–১৩৭১)
* উত্তর আশিকাগা দাবিদার ৫: সম্রাট গো-এন'ইউ「後円融天皇」(১৩৫৯–১৩৯৩, রাজত্বকাল ১৩৭১–১৩৮২)
kinl3i6yc763s8nqu3ss3qnfpt3cjck
84432
84431
2025-06-16T18:09:17Z
NusJaS
8394
/* শুগো প্রভুদের উত্থান */
84432
wikitext
text/x-wiki
নানবোকু-চো যুগ (南北朝時代, নানবোকু-চো জিদাই) ১৩৩৬ সাল থেকে ১৩৯২ সাল পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। এটি মুরোমাচি যুগের একটি অংশ ছিল।
এই সময়ে দুটি সাম্রাজ্যীয় দরবার ছিল। এরমধ্যে কিয়োতোতে আশিকাগা তাকাউজি প্রতিষ্ঠা করেছিল উত্তর সাম্রাজ্যীয় দরবার; এবং সম্রাট গো-দাইগো ইয়োশিনোতে প্রতিষ্ঠা করেছিল ক্ষিণ সাম্রাজ্যীয় দরবার।
মতাদর্শগতভাবে, এই দুই দরবার প্রায় পঞ্চাশ বছর ধরে সংঘর্ষে লিপ্ত ছিল। তবে ১৩৯২ সালে দক্ষিণ দরবার উত্তর দরবারের কাছে আত্মসমর্পণ করে। বাস্তবে উত্তর রাজবংশ ছিল আশিকাগা শোগুনদের নিয়ন্ত্রণাধীন এবং তাদের বাস্তবিক স্বাধীনতা খুবই সীমিত ছিল।
উনবিংশ শতাব্দী থেকে শুরু করে দক্ষিণ দরবারের সম্রাটদের জাপানের বৈধ সম্রাট হিসেবে গণ্য করা হয়। এর পেছনে কিছু। কারণ ছিল—দক্ষিণ দরবারের হাতে জাপানি সম্রাজ্ঞী রাজমুকুট ও প্রতীকগুলোর নিয়ন্ত্রণ, এবং কিতাবাতাকে চিকাফুসার লেখা ''জিন্নো শোতোকি'' ছিল। এটি তাদের পরাজয়ের পরেও দক্ষিণ দরবারের বৈধতাকে সমর্থন করেছিল।
এই সময়কালের ঘটনাগুলোর প্রভাব এখনও আধুনিক জাপানের প্রচলিত দৃষ্টিভঙ্গিতে সম্রাট ব্যবস্থা (তেননো সেইকা) প্রভাবশালী হতে থাকে। রাষ্ট্রীয় শিন্তো ধর্মের প্রভাবে ১৯১১ সালের ৩ মার্চ জারিকৃত এক সাম্রাজ্যীয় ডিক্রিতে এই সময়ের বৈধ রাজাদের দক্ষিণ দরবারের সদস্য বলেই ঘোষণা করা হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর, কুমাজাওয়া হিরোমিচি থেকে শুরু করে একদল দাবিদার নিজেদের দক্ষিণ দরবার থেকে বংশোদ্ভূত দাবি করে এবং উত্তর দরবার থেকে আসা রাজবংশের আধুনিক সাম্রাজ্যীয় ধারার বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে।
১৩৩৩ সালে কামাকুরা শোগুনাতের পতন এবং ১৩৩৬ সালে কেম্মু পুনর্গঠনের ব্যর্থতা নতুন শাসনব্যবস্থার বৈধতা নিয়ে সংকট তৈরি করে। পাশাপাশি, অভিজাত এবং যোদ্ধাদের আয়ের ভিত্তি জমিদারি ব্যবস্থায় (শোয়েন) কাঠামোগত পরিবর্তন সমাজের বিভিন্ন শ্রেণির অবস্থান পরিবর্তনে বড় ভূমিকা রাখে। নানবোকু-চো যুদ্ধের মধ্য দিয়ে যে মুরোমাচি শাসন ব্যবস্থা উদ্ভূত হয়, তা যোদ্ধা শ্রেণির অর্থনৈতিক ভিত্তিকে প্রসারিত করে। তবে অভিজাত মালিকদের ক্ষমতা হ্রাস করে। এটি কামাকুরা বাকুফুর সময় থেকেই শুরু হয়েছিল।
== কামাকুরা বাকুফুর পতন ==
গৃহযুদ্ধের সূচনায় অবদান রাখা প্রধান। কারণ ছিল—হোজো পরিবার ও অন্যান্য যোদ্ধা গোষ্ঠীর মধ্যে ক্রমবর্ধমান বিরোধ। এটি ১২৭৪ এবং ১২৮১ সালের মঙ্গোল আক্রমণের পর থেকে বৃদ্ধি পায়। এছাড়াও আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ছিল কেম্মু পুনর্গঠনের ব্যর্থতা। এটি সম্রাট-অনুগামী ও আশিকাগা গোষ্ঠীর সমর্থকদের মধ্যে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করে।
১৩শ শতাব্দীর শেষদিকে হোজো-নেতৃত্বাধীন কামাকুরা শাসনের প্রতি যোদ্ধাদের মধ্যে অসন্তোষ বৃদ্ধি পায়। এই অসন্তোষের মূল। কারণ ছিল, হোজোদের অন্যান্য যোদ্ধা পরিবারগুলোর ওপর ক্রমবর্ধমান আধিপত্য বিস্তার। বিশেষ করে হোজো তোকিমুনের (১২৬৮–১২৮৪) শাসনকালে মঙ্গোল সংকটের সময় এই কেন্দ্রীয়করণ আরও প্রকট হয়। সে সময়ে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটে: হোজো পরিবারে রাজ্য পরিষদে নিয়োগ বৃদ্ধি পায়; হোজোদের ব্যক্তিগত পারিবারিক পরিষদই প্রধান সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী সংস্থা হয়ে ওঠে; এবং হোজোর সরাসরি অধীনস্থ করদ রাজ্যগুলো ক্রমবর্ধমানভাবে শুগো (প্রাদেশিক গভর্নর) হিসেবে উন্নীত করা হয়। এর ফলে তারা কেবলমাত্র নিজেদের পরিবারের সদস্য ও সরাসরি অধীনস্ত করদ রাজ্যগুলোর অন্তর্ভুক্ত করার ফলে বৃহত্তর ভিত্তির সমর্থন হারায়। ১৩৩১ সালে হোজোর বিরুদ্ধে এক জোট গঠিত হলে তার শাসনব্যবস্থার পতন ঘটাতে মাত্র দুই বছর সময় লেগেছিল।
ত্রয়োদশ শতাব্দীর শেষের দিকে যোদ্ধাদের মধ্যে হোজো-নেতৃত্বাধীন কামাকুরা শাসনের প্রতি অসন্তোষ দেখা দেয়। এই বিরক্তি শাসনের মধ্যে অন্যান্য যোদ্ধা পরিবারের উপর হোজোর প্রভাবের কারণে ঘটেছিল। হোজো টোকিমুনের রাজত্বকালে (১২৬৮-১২৮৪ খ্রিষ্টাব্দ) ক্ষমতার এই কেন্দ্রীকরণের পেছনে মঙ্গোল আক্রমণ মূল। কারণ ছিল। সঙ্কটের সময়, তিনটি জিনিস ঘটেছিল: হোজো পরিবারের কাউন্সিল অফ স্টেটে নিয়োগ বেড়েছে; হোজো প্রাইভেট ফ্যামিলি কাউন্সিল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী সংস্থা হয়ে ওঠে। হোজোর সরাসরি শুগো পোস্টে উন্নীত হয়েছিল। তারা মূলত সমর্থনের বিস্তৃত ভিত্তির ব্যয়ে কেবল হোজো পরিবারের সদস্য এবং সরাসরি অন্তর্ভুক্ত করে তাদের নির্বাচনী এলাকাগুলোকে সংকীর্ণ করেছিল। ১৩৩১ সালে যখন হোজোর বিরুদ্ধে একটি জোট গঠিত হয়,
তখন কৃষিভিত্তিক সমাজে সম্পদের মূল উৎস ছিল জমি, এবং মধ্যযুগীয় জাপানেও এর ব্যতিক্রম ছিল না। প্রকৃতপক্ষে, যোদ্ধা শ্রেণির মধ্যে বেশিরভাগ অসন্তোষের মূল। কারণ ছিল জমি। মিনামোতো গোষ্ঠীর উত্থানের পর থেকে যুদ্ধজয়ের পুরস্কার হিসেবে ভূমি দান ছিল যোদ্ধাদের জন্য একটি স্বীকৃত প্রথা। কিন্তু মঙ্গোল আক্রমণ ছিল ব্যতিক্রম,। কারণ এটি বিদেশী শত্রুর বিরুদ্ধে দেশরক্ষার যুদ্ধ ছিল, অন্য কোনও যোদ্ধা গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে নয়। ফলে বিদেশী শত্রুর পরাজয়ের পরে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার হিসেবে তুলে দেওয়ার মতো কোনও জমি ছিল না। এই পরিস্থিতি বিশেষভাবে কঠিন ছিল সেই যোদ্ধাদের জন্য, যারা বীরত্বের সাথে যুদ্ধ করেছিল এবং জমির জন্য হোজো শাসকদের কাছে আবেদন করেছিল। চতুর্দশ শতাব্দীর শুরুতেই এই অসন্তোষ নতুন যে কোনও শাসন ব্যবস্থার ওপর প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি করেছিল। এই শ্রেণিকে সন্তুষ্ট না করতে পারলে নতুন শাসনের স্থায়িত্ব ছিল অনিশ্চিত।
নানবোকু-চো যুদ্ধ ছিল একটি মতাদর্শগত লড়াই—একদিকে ছিল যারা সম্রাটের পুনঃস্থাপন চেয়েছিল, অন্যদিকে ছিল যারা কামাকুরা শাসনের আদলে একটি নতুন যোদ্ধা শাসন প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিল। যেন জাপানের ইতিহাসের পূর্ববর্তী হেইয়ান ও কামাকুরা যুগের মধ্যে মতাদর্শগত সংঘর্ষ ঘটছিল। কিতাবাতাকে চিকাফুসার মতো অভিজাত যোদ্ধারা বুঝতে পারতেন যে পুনর্গঠনে যোদ্ধাদের অংশগ্রহণ প্রয়োজন, তবে মতাদর্শগত স্তরে তাকাউজির সঙ্গে তার তীব্র মতভেদ ছিল, যা ভবিষ্যতের নেতৃত্বেও প্রভাব ফেলেছিল। যুদ্ধের মধ্যেই তৈরি হয় নতুন মুরোমাচি শাসন, যা কেম্মু পুনর্গঠনের ব্যর্থতার সরাসরি ফলাফল ছিল।
== অনুগত সম্পর্ক ও মুরোমাচি বাকুফুর উত্থান ==
উভয় পক্ষের মধ্যে তীব্র লড়াই প্রায় ত্রিশ বছর ধরে চলে। এর পর নতুন যোদ্ধা শাসনের সমর্থকরা আধিপত্য লাভ করে। আশিকাগা তাকাউজি ক্ষমতা কেন্দ্রীকরণের জন্য তিনটি মূল নীতি অনুসরণ করেন:
১. হানজেই বা অর্ধেক কর নীতি, যা জমিদার জমি ভাগ করে দেয়;
২. সামুরাই অনুগতদের (গোকেনিন) সঙ্গে অনুগত্য সম্পর্ক;
৩. শুগো প্রভুদের বাকুফু গভর্নর ও প্রাদেশিক সামন্ত হিসেবে ব্যবহার (এটি পরে বিস্তারিতভাবে আলোচিত)।
এই দুই কাঠামো—সামুরাই অনুগত্য ও শুগো নিয়ন্ত্রণ ১৩৫০-এর দশকে শাসন প্রতিষ্ঠার পর গড়ে ওঠে এবং শোগুনের ক্ষমতা নির্ধারণে মুখ্য ভূমিকা রাখে। প্রশাসনিক কাঠামোগুলো বোঝা কঠিন,। কারণ কান্নো বিশৃঙ্খলার পর প্রাথমিক প্রশাসনে ব্যাপক পরিবর্তন আসে। এগুলোর অধিকাংশই কিয়োতো ও ইয়ামাশিরো প্রদেশেই সীমাবদ্ধ ছিল।
=== কামাকুরা থেকে মুরোমাচি পর্যন্ত জমিদারি (শোয়েন) ব্যবস্থার বিবর্তন ===
হানজেই অর্ধ কর নীতিটি সরাসরি ও তীব্র: এটি এস্টেট জমিতে সামুরাই আক্রমণের বৈধতা স্বীকৃতি দেওয়ার একটি কঠোর নীতি ছিল। কিন্তু একই সঙ্গে এস্টেট বা জমিদারি ব্যবস্থার অস্তিত্ব রক্ষা করার নিশ্চয়তা দিয়েছিল।
এস্টেট সিস্টেম কীভাবে পরিবর্তিত হয়েছিল তা পরীক্ষা করার জন্য আমাদের প্রথমে কামাকুরা আমলের দিকে তাকাতে হবে। সামুরাই স্টুয়ার্ড (জিতো) এবং কামাকুরা শাসনের (১১৮৫-১৩৩৩ খ্রিষ্টাব্দ) মধ্যে করদ সম্পর্ক মধ্যস্থতাকারী ছিল। কারণ তারা সামুরাই স্টুয়ার্ডকে (জিতো) এমন একটি অবস্থানে রেখেছিল যেখানে তিনি একই সাথে কামাকুরা এবং কিয়োতো উভয়ের কাছেই জবাবদিহি করেছিলেন। সামুরাই হিসাবে নির্বাচিত হয়ে তাকে একটি কল্পিত আত্মীয়তার বন্ধনে তার বাড়ির সদস্য হিসাবে শোগুনের সাথে সরাসরি করদ সম্পর্কের মধ্যে রাখা হয়েছিল। স্টুয়ার্ড হিসাবে সামুরাই একজন শোগুনাল হাউসম্যান (গোকেনিন) এবং বিশ্বস্ত করদ রাজা হয়েছিলেন। তিনি এমন একটি এস্টেটের পরিচালনার ভার পেয়েছিলেন, যা আইনত কিয়োতোতে একজন আভিজাত্যের মালিকানাধীন ছিল (ভার্লি ১৯৬৭: ২২-৫)। এখানেই কামাকুরা করদ সম্পর্কের মধ্যস্থতাকারী প্রকৃতি রয়েছে। কামাকুরায় যোদ্ধা শাসনের সামন্ত হিসাবে তিনি সামরিক পরিষেবা এবং বকেয়া আকারে শোগুনের কাছে জবাবদিহি করেছিলেন। তবে একজন অভিজাতের মালিকানাধীন এস্টেটের পরিচালক হিসাবে তাকে পরবর্তীকালে খাজনা দিতে হয়েছিল। আমরা প্রথমে কামাকুরা করদ রাজ্য হিসাবে সামুরাই স্টুয়ার্ডের প্রকৃতি পরীক্ষা করব এবং তারপরে আশিকাগা তাকাউজির অধীনে উদ্ভূত করদ বন্ধনগুলো পরীক্ষা করব।
কামাকুরা শাসন ব্যবস্থার স্থায়িত্ব শাসকদের প্রভাবশালী যোদ্ধাদের পরিচালনার অধিকার (জিতো শিকি) এবং অভিজাত মালিকের খাজনা ও জমির মালিকানার অধিকারের গ্যারান্টির উপর নির্ভর করেছিল। সামুরাই স্টুয়ার্ডদের সাথে করদ সম্পর্কের মাধ্যমে, নতুন যোদ্ধা শাসনকে পুরানো এস্টেট সিস্টেমে স্থাপন করা হয়েছিল। প্রক্রিয়াটিতে আপস্টার্ট যোদ্ধা এবং অভিজাতদের মধ্যে সুপ্ত থাকা দ্বন্দ্বমূলক প্রবণতাগুলোর সেতুবন্ধন সৃষ্টি করেছিল।
যেসব সামুরাই স্টুয়ার্ডদের শোগুন বা হোজো রিজেন্টদের সাথে সরাসরি করদ সম্পর্ক ছিল, তারা হাউজকিপার (গোকেনিন) নামেও পরিচিত ছিল। কামাকুরা গোকেনিনের ঐতিহ্য একটি মর্যাদাপূর্ণ ঐতিহ্য ছিল এবং মুরোমাচি যুগে যা ঘটেছিল তার নজির স্থাপন করেছিল। ইয়োরিতোমো এবং হোজো রিজেন্টরা কেবল তাদের নিজস্ব গোকেনিনদের নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে উদ্বিগ্ন ছিল। তারা সচেতনভাবে তাদের নিজস্ব করদ রাজ্যগুলোর জমি বিরোধের মামলা শোনার মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল এবং তাদের অনুসারীদের স্টুয়ার্ডশিপ অধিকারকে পুরস্কৃত করেছিল। এটি অন্যান্য গোষ্ঠীর অন্যান্য বিরোধগুলো নাগরিক প্রশাসন দ্বারা যত্ন নেওয়া যেতে দেয়। এই নজিরটি আশিকাগা শোগুনরা অনুসরণ করেছিল।;। কারণ তারা মুরোমাচি আমলে শুগো প্রভুদের আক্রমণের বিরুদ্ধে তাদের দেশের করদ রাজ্যগুলোর স্বার্থ রক্ষার চেষ্টা করেছিল।
শুগোকে কেবল প্রদেশগুলোর প্রভু হিসাবে আরও ক্ষমতা দেওয়া হয়নি। তাকাউজি এস্টেট জমি বিভক্ত করার জন্য যে অর্ধ কর নীতি (হানজেই) ব্যবহার করেছিলেন তা সামুরাই যোদ্ধাদের মালিকানাধীন জায়গীরের সংখ্যা বহুগুণ বাড়িয়ে তুলেছিল। তবে তাকাউজি আরও এগিয়ে যেতে পারতেন যদি তিনি তাঁর বিশ্বস্ত জেনারেলদের পরামর্শ অনুসরণ করতেন। কো ভাইয়েরা সম্পত্তি পুরোপুরি সরিয়ে দিতে চেয়েছিলেন। এস্টেট সিস্টেমের পুনর্বিন্যাসে যোদ্ধাদের স্বার্থ প্রাধান্য পেয়েছিল। তবে মহৎ স্বার্থ তখনও সংরক্ষিত ছিল। এস্টেট সিস্টেম সংরক্ষণে সহায়তা করার ক্ষেত্রে, অর্ধেক করের পরিমাপ এমন একটি নীতি ছিল যা তখনও যোদ্ধার অধিকারের সাথে আভিজাত্যের অধিকারকে সংযুক্ত করতে সক্ষম হয়েছিল।
অর্ধ কর নীতি যুদ্ধের সময় সংগৃহীত সামরিক রেশন (হায়রোরিয়োশো) এর জন্য মনোনীত জরুরি কর হিসাবে শুরু হয়েছিল: মিনো, ওমি এবং ওওয়ারি প্রদেশের নির্দিষ্ট উপাসনালয়, সমাধি এবং এস্টেট জমি থেকে অর্ধেক আয় মুরোমাচি শাসনের সেনাবাহিনীকে সমর্থন করার জন্য নেওয়া হবে। ক্রমবর্ধমানভাবে, এটি পুনরায় ব্যাখ্যা করা হয়েছিল এবং তাকাউজি দ্বারা করদ রাজ্যগুলোর প্রয়োগের উদ্দেশ্যে অর্ধেক জমির স্থায়ী অধিগ্রহণ হিসাবে পরিবর্তন করা হয়েছিল। এটি ছিল পূর্ববর্তী অনুশীলন থেকে আমূল প্রস্থান। উপরে উল্লিখিত হিসাবে, কামাকুরা আমলে বেশিরভাগ জমি, বিশেষত হোনশুর কেন্দ্রীয় ও পশ্চিম প্রদেশগুলোতে, অভিজাতদের মালিকানাধীন ছিল। তবে কামাকুরা হাউস করদ রাজ্যগুলোর দ্বারা স্টুয়ার্ডশিপ (জিতো শিকি) হিসাবে পরিচালিত হয়েছিল। এটি এস্টেট প্রতিষ্ঠানে একত্রে অভিজাতদের স্বার্থ এবং যোদ্ধাদের স্বার্থ উভয়কেই একত্রিত করেছিল। অর্ধ কর ব্যবস্থার আবির্ভাবের সাথে সাথে তাকাউজি সম্পত্তির অর্ধেক জমি মহৎ নিয়ন্ত্রণ থেকে সরিয়ে তার যোদ্ধাদের জায়গীরে দিচ্ছিলেন।
=== স্থানীয় সামুরাই (কোকুজিন) এর উত্থান ===
নানবোকু-চো দ্বন্দ্ব শুরু হলে করদ সম্পর্ক আরও গুরুতর হয়ে ওঠে। সামন্তদের আনুগত্য একটি বড় বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তুলনামূলকভাবে শান্তিপূর্ণ কামাকুরা সময়কালে, সামরিক দক্ষতাগুলো প্রিমিয়ামে রাখা হয়নি। তবে গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পরে এই মানদণ্ডটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে (ভর ১৯৮৯: ১১৩-৪,১১৭)। ১৩৩৬ পরবর্তী পরিবেশের করদ সম্পর্কগুলোতে একটি নতুন মধ্যস্থতাকারী বিবেচনা উদ্ভূত হয়েছিল: আনুগত্যের প্রয়োজন এবং প্রভু এবং করদ রাজ্যের মধ্যে একটি শক্ত বন্ধন। প্রতিদ্বন্দ্বীদের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তার ফলস্বরূপ শোগুন এবং তার করদ রাজ্যগুলোর মধ্যে দৃঢ় সম্পর্ক আবির্ভূত হয়েছিল। করদ সম্পর্ক হয় আশিকাগা দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল বা আশিকাগার প্রতি অনুগত উদীয়মান শুগো প্রভুদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত অন্য যোদ্ধা শ্রেণিবিন্যাসের কাছে সম্ভাব্য যোদ্ধা হারানোর ঝুঁকি ছিল এবং সবচেয়ে খারাপ প্রতিদ্বন্দ্বী সাম্রাজ্যবাদী জেনারেলদের দ্বারা। সুতরাং, সত্যিকার অর্থে, গৃহযুদ্ধের সময়কালে যোদ্ধা নিয়োগের মাধ্যমে সম্ভাব্য দ্বন্দ্ব দূর করতে করদ বন্ধন ব্যবহার করা হয়েছিল।
একই সময়ে সামুরাই এবং শোগুনের মধ্যে করদ বন্ধন শক্ত হয়েছিল, এই সম্পর্কগুলোর বৈধতা কঠোরভাবে পরীক্ষা করা হয়েছিল। এই আপাত বৈপরীত্যটি যৌক্তিকভাবে সামুরাই আনুগত্যের অনেক দাবির অস্তিত্ব দ্বারা ব্যাখ্যা করা হয়েছে যা উপস্থাপিত হয়েছিল: প্রতিদ্বন্দ্বী সাম্রাজ্যবাদী জেনারেল, শুগো প্রভু এবং এমনকি স্থানীয় সামুরাই জোটের প্রতি।
কয়েকটি উদাহরণ শোগুন আশিকাগা তাকাউজি এবং তার নতুন গোকেনিনদের মধ্যে করদ সম্পর্কের উত্থানকে চিত্রিত করবে। ১৩৩৬ সালে তাকাউজি কিউশুতে পশ্চাদপসরণ করার পরে আকি প্রদেশে আশিকাগা স্বার্থ রক্ষার দায়িত্ব পেলে কোবায়াকাওয়া পরিবার অনুগত করদ রাজ্য হয়ে ওঠে (আর্নেসেন ১৯৮৫: ১০৮)। আরেকটি আকি সামুরাই পরিবার মোরি বংশ, ১৩৩৬ সালে তাকাউজির করদ রাজ্য হয়ে ওঠে এবং কান্নো ঘটনার প্রাদুর্ভাব না হওয়া পর্যন্ত কো মোরোয়াসুর অধীনে দায়িত্ব পালন করে। ১৩৫০ এর দশকে মোরি তাকাউজি তাদায়োশি এবং তার দত্তক পুত্র তাদাফুয়ুর শত্রুদের পক্ষে ছিল এবং ১৩৬০ এর দশক পর্যন্ত তারা আবার শোগুনের করদ রাজ্য হিসাবে ফিরে আসেনি (আর্নেসেন ১৯৮৫: ১১৪-৫)। কাওয়াশিমা বংশ এবং কিয়োতোর নিকটবর্তী অন্যান্য যোদ্ধা পরিবারগুলোর সাথে করদ সম্পর্ক ১৩৩৬ সালের গ্রীষ্মে তাকাউজি রাজধানী পুনরায় দখলের অভিযানে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তাকাউজির স্বাক্ষর বহনকারী করদের শর্তাদি সম্পর্কিত একটি নথির কারণে কাওয়াশিমা মামলাটি যথেষ্ট আগ্রহের বিষয়: তারা কাওয়াশিমা এস্টেটের অর্ধেকেরও বেশি স্টুয়ার্ডশিপ অধিকারের (জিতো শিকি) জন্য সামরিক পরিষেবা বিনিময় করবে, বাকি অর্ধেকটি ভাড়া আকারে অভিজাত মালিকের দখলে রেখে দেবে।
=== কান্নো ঘটনা এবং ১৩৫০ এর দশকে দক্ষিণ দরবারের পুনরুত্থান ===
=== ঘটনাবলী ===
তাকাউজি নামমাত্র শোগুন ছিলেন। দশ বছরেরও বেশি সময় ধরে তাদায়োশি তার জায়গায় শাসন করেছিলেন। দুই ভাইয়ের মধ্যে সম্পর্ক অবশ্য "কান্নো ঘটনা" নামে একটি অত্যন্ত গুরুতর পর্বের মাধ্যমে ধ্বংস হয়েছিল। এটি এমন একটি ঘটনা যা কান্নো যুগ (১৩৫০-১৩৫১) থেকে নামকরণ করা হয়েছে। এই সময়েই দুই ভাইয়ের মধ্যে বিভেদের ঘটনাটি ঘটেছিল। এটি পুরো দেশের জন্য খুব গুরুতর পরিণতি বয়ে আনে। তাকাউজি কো নো মোরোনাওকে তার শিটসুজি বা ডেপুটি বানানোর ফলেই দুজনের মধ্যে ঝামেলা শুরু হয়েছিল। তাদায়োশি মোরোনাওকে পছন্দ করতেন না। তাই তাকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার অন্য প্রতিটি প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়ে তাকে হত্যা করার চেষ্টা করেছিলেন। তার এই ষড়যন্ত্র ফাঁস হয়ে যায়। ফলে ১৩৪৯ সালে তাদায়োশি মোরোনাও সরকার ত্যাগ করে মাথা ন্যাড়া হয়ে কেইশিন নামে বৌদ্ধ সন্ন্যাসী হতে বাধ্য হন। ১৩৫০ সালে তিনি বিদ্রোহ করে নিজের ভাইয়ের শত্রুদের সাথে যোগ দেন। সেই শত্রুরা ছিল দক্ষিণ দরবারের সমর্থক। সম্রাট গো-মুরাকামি তাকে তার সমস্ত সৈন্যের জেনারেল নিযুক্ত করেছিলেন। ১৩৫১ সালে তিনি তাকাউজিকে পরাজিত করে কিয়োতো দখল করেকামাকুরায় প্রবেশ করেন। একই বছর তিনি মিকেজে (সেৎসু প্রদেশ) কো ভাইদের বন্দী করে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেন। পরের বছর তার ভাগ্য ঘুরে যায়। তিনি সাত্তায়ামায় তাকাউজির কাছে পরাজিত হন। ভাইদের মধ্যে একটি পুনর্মিলন সংক্ষিপ্ত প্রমাণিত হয়েছিল। তাদায়োশি কামাকুরায় পালিয়ে যান, কিন্তু তাকাউজি সেখানে সেনাবাহিনী নিয়ে তাকে তাড়া করেন। তাইহেইকি অনুসারে ১৩৫২ সালের মার্চ মাসে আপাতদৃষ্টিতে দ্বিতীয় পুনর্মিলনের অল্প সময়ের মধ্যেই তাদায়োশি হঠাৎ বিষক্রিয়ায় মারা যান।
=== পটভূমি ===
মুরোমাচি শাসনকে বিভক্ত করে এমন চরম বিভাজনকারী কান্নো ঘটনা একীকরণকে সাময়িকভাবে আটকে রেখেছিল। যেহেতু এই ঘটনাটি আমলাতান্ত্রিক অন্তর্দ্বন্দ্বের ফলস্বরূপ ঘটেছে, তাই প্রথমে আমলাতান্ত্রিক অঙ্গগুলোর দিকে নজর দেওয়া দরকার, তারপরে দ্বন্দ্বটি কোথায় উত্থিত হয়েছিল তা পরীক্ষা করা দরকার।
প্রাথমিক শাসনের আমলাতান্ত্রিক অঙ্গগুলো আশিকাগা ভাইদের পৃথক এখতিয়ারের অধীনে ছিল। তাকাউজি ও তাদায়োশি একটি দ্বিখণ্ডিত প্রশাসন তৈরি করে। তাকাউজি হাউস করদ রাজ্যগুলোর নেতা ছিলেন এবং এভাবে বোর্ড অফ রিটেইনার্স (সামুরাই ডোকোরো) এবং পুরষ্কার অফিস (ওনশো-কাটা) নিয়ন্ত্রণ করেছিলেন, যখন তাদায়োশি শাসনের বিচারিক কার্যক্রমের উপর তদন্ত বোর্ড নিয়ন্ত্রণকারী আমলাতান্ত্রিক নেতা ছিলেন (সাতো ১৯৭৭: ৪৮; সাতো ১৯৭৭:৪৮)। গ্রসবার্গ ১৯৮১: ২১-২৪)।
রিটেইনার্স বোর্ড হাউস করদ রাজ্যগুলোর প্রতি শৃঙ্খলাবদ্ধ অঙ্গ হিসাবে ব্যবহৃত হয়েছিল: ব্রিগেন্ডেজ এবং অন্যান্য অপরাধের বিচার করা হয়েছিল (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ৮৮,১০৭)। পুরষ্কারের অফিসটি যোগ্য করদ রাজ্যগুলোর দাবি শুনতে এবং বন্দী করার জন্য ব্যবহৃত হয়েছিল। পুরষ্কারের অফিসটি নতুন যোদ্ধাদের তালিকাভুক্ত করতে ব্যবহৃত হয়েছিল যারা শাসনের সম্ভাব্য প্রতিপক্ষ ছিল। প্রধান বিচারিক অঙ্গ, কোডজুটরস বোর্ড, উত্তরাধিকারের সাথে জড়িত সমস্ত জমি বিরোধ মামলা এবং ঝগড়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ৮৮)। সমস্ত বিচারিক কাজগুলো একটি প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর মধ্যে আইনীভাবে দ্বন্দ্ব এবং বিরোধ নিষ্পত্তি করার জন্য ব্যবহৃত হয়। নতুন শাসনের জন্য আমলাদের (বুগিওনিন) পতনের আগে হোজো শাসনের দায়িত্ব পালনকারীদের পদমর্যাদা থেকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ৯০)। তারা মূল্যবান ছিল। কারণ তারা পড়তে এবং লিখতে জানত, এমন একটি কাজ যা বেশিরভাগ যোদ্ধাদের নাগালের বাইরে।
১৩৫০ এর দশকে কান্নো ঘটনা এবং এর পরিণতি প্রাথমিক শাসনকে বিভক্ত এবং প্রায় ধ্বংস করে দিয়েছিল (সানসোম ১৯৬১: ৭৮-৯৫)। আপাতদৃষ্টিতে ঘটনাটি তাকাউজির ভাই আশিকাগা তাদায়োশির বিরুদ্ধে কো ভ্রাতৃদ্বয়, মোরোনাও এবং মোরোয়াসুর বিরুদ্ধে তাকাউজির সমর্থিত একটি উপদলীয় লড়াইয়ের মতো দেখায় (উইন্টারস্টিন ১৯৭৪: ২১৫; আর্নেসেন ১৯৭৯: ৫৩-৫৪)। দ্বন্দ্বটি এস্টেট সিস্টেম সম্পর্কে মতামতের পার্থক্য এবং এই ভিন্ন মতামতের পিছনে তাকাউজি ও তাদায়োশি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত বিভিন্ন আমলাতন্ত্রের দিকে ইঙ্গিত করা যেতে পারে। সামগ্রিকভাবে তাকাউজি ছিলেন উদ্ভাবক এবং তাদায়োশি রক্ষণশীলতার ভূমিকা পালন করেছিলেন। তিনি অতীতের নীতিগুলো সংরক্ষণ করতে চেয়েছিলেন। করদ রাজ্য ব্যান্ডের সামরিক নেতা হিসাবে তাঁর ক্ষমতায় তাকাউজি দুটি জিনিস করেছিলেন। এটি তাদায়োশির সাথে সাংঘর্ষিক ছিল: তিনি যুদ্ধক্ষেত্রের বীরত্বের পুরষ্কার হিসাবে শুগো পোস্টগুলোতে করদ রাজ্য নিয়োগ করেছিলেন। এর পাশাপাশি তিনি শোয়েন এস্টেটগুলো ভাগ করে দিয়েছিলেন। এর অর্ধেক তার করদ রাজ্যগুলোর ফিফ বা স্টুয়ার্ডশিপ হিসাবে দিয়েছিলেন। তাদায়োশি কেম্মু ফর্মুলারি খসড়া তৈরির মাধ্যমে এই নীতিগুলোর কঠোরভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। তিনি যুদ্ধক্ষেত্রের সেবার পুরষ্কার হিসাবে শুগোর নিয়োগের বিরোধিতা করেছিল। তিনি কোডজুটরস বোর্ডের নেতা হিসাবে তাঁর ক্ষমতায় এস্টেট জমিগুলোর যে কোনও ধরণের সরাসরি বিভাজনের বিরোধিতা করেছিলেন (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ২৩-৪)। তাকাউজি এবং তার ভাই তাদায়োশির নীতিগুলোর মধ্যে একটি স্পষ্ট বিভাজন ছিল।
দু'জন রাষ্ট্রপ্রধানের নীতি একে অপরের সাথে সাংঘর্ষিক হওয়ার ফলে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। এই ঘটনার পরের ঘটনাবলী সাক্ষ্য দেয়, শাসকগোষ্ঠী কতটা সমর্থন হারাতে শুরু করেছিল। আশিকাগা পরিবারের সদস্যদের মধ্যে গভীর বিভাজন বিরোধীদের শক্তিশালী করেছিল। মুরোমাচি শাসনের উভয় স্তম্ভ, তাকাউজি ও তাদায়োশি তাদের নিজস্ব এজেন্ডা চাপিয়ে দেওয়ার জন্য দক্ষিণ দরবারে টোকেন জমা দিয়েছিলেন: কো ভাইদের ধ্বংস করার ইচ্ছায় তাদায়োশি এবং অন্যদিকে তাদায়োশিকে পরাজিত করার আকাঙ্ক্ষায় তাকাউজি এটি করেন। হাস্যকরভাবে দক্ষিণ দরবার উভয়ের শত্রু হলেও এই দুই শাসক সদস্য একে অপরকে আক্রমণ করার ন্যায্যতা হিসাবে এটি ব্যবহার করেছিল।
=== প্রভাব ===
এই ঘটনার অন্যতম প্রধান প্রভাব ছিল দক্ষিণ দরবারের যুদ্ধের প্রচেষ্টাকে পুনরুজ্জীবিত করা। অনেকাংশে এই নতুন আক্রমণাত্মক মুরোমাচি শাসনের টার্নকোটদের দ্বারা সম্ভব হয়েছিল। কামাকুরায় তাকাউজির বিরুদ্ধে পরিচালিত ১৩৫২ সালের সাম্রাজ্যবাদী আক্রমণ তাদায়োশির প্রাক্তন অনুসারীদের বিপুল সংখ্যক দ্বারা সম্ভব হয়েছিল। তারা সাম্রাজ্যবাদী নেতা নিত্তা যোশিমুনের সমর্থক হয়েছিলেন। শুগো প্রভু ইয়ামানা টোকিউজির দলত্যাগের মাধ্যমে ১৩৫৩ সালে কিয়োতোর বিরুদ্ধে সাম্রাজ্যবাদী আক্রমণ সম্ভব হয়েছিল। তাদায়োশির দত্তক পুত্র আশিকাগা তাদাফুয়ু ছিলেন দলত্যাগের অসামান্য উদাহরণ: ১৩৫৩ এবং ১৩৫৪ সালে কিয়োতোর বিরুদ্ধে সাম্রাজ্যবাদী আক্রমণের সময় তিনি দক্ষিণ দরবারের পশ্চিমা সেনাবাহিনীর নেতা হয়েছিলেন।
=== শুগো প্রভুদের উত্থান ===
এই যুগের উত্থান-পতন বুঝতে হলে আমাদের তখন শোগুন-শুগো প্রভু সম্পর্কের উদাহরণের দিকে ফিরে যেতে হবে। নানবোকু-চো যুগের বৈশিষ্ট্যযুক্ত প্রতিযোগিতামূলক আনুগত্য বিভিন্ন স্তরে খেলা হয়েছিল। একবারে আমরা মোরির মতো স্থানীয় সামুরাই পরিবারগুলোর দলত্যাগ দেখতে পাই - ভয়াবহ বিভাজনকারী কান্নো ঘটনার সময় অস্বাভাবিক নয়। উচ্চতর স্তরে, শুগো প্রভুরা চতুর্দশ শতাব্দীর শেষার্ধ পর্যন্ত বিপজ্জনকভাবে স্বাধীন পদ্ধতিতে কাজ চালিয়ে যান।
আশিকাগা শোগুন তাকাউজি পশ্চিম ও মধ্য জাপানের বিভিন্ন প্রদেশে শাখা পরিবারের সদস্যদের শুগো প্রভু হিসাবে নিয়োগ করেছিলেন। শুগো গভর্নর হিসাবে কাজ করেছিলেন এবং শাসন কেন্দ্র এবং পেরিফেরির মধ্যে মধ্যস্থতার দায়িত্ব পালন করেছিলেন। স্থানীয় গভর্নর এবং তাদের নিজস্ব অধিকারে প্রভু হিসাবে, তারা প্রদেশগুলোতে শাসনের কর্তৃত্বের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন। তারা প্রদেশব্যাপী নিয়োগের কারণে সামুরাই হাউসম্যানের চেয়ে অনেক বেশি কর্তৃত্ব অর্জন করেছিল, একক এস্টেটে সীমাবদ্ধ ছিল না। এখানে আমরা মুরোমাচি যুগের প্রথম দিকে আশিকাগা শোগুনের সাথে তাদের সম্পর্কের দিকে নজর দেব।
শুগো নিয়োগের সাফল্য আত্মীয়তার বন্ধনের দিকে নয়, বরং অন্যান্য কারণের মাধ্যমে তারা শাসনের সাথে কতটা ভালভাবে আবদ্ধ ছিল তার উপর নির্ভর করে। কামাকুরা আমল থেকে যোদ্ধা পরিবারগুলো শীর্ষপদ অধিকার (সোরিও) ব্যবহার করে চিহ্নিত করা হয়েছিল। এখানে শাখা পরিবারগুলোর উপর নেতৃত্ব দেওয়া হয়েছিল মূল পরিবারের নেত্রী। শীর্ষপদ অধিকারগুলো অত্যন্ত অস্থির ছিল। কারণ শাখা পরিবারগুলো প্রায়শই তাদের নিজস্ব স্বাধীনতা দাবি করেছিল, বিশেষত নতুন প্রজন্ম আত্মীয়তার বন্ধনকে হ্রাস করার জন্য আবির্ভূত হয়েছিল (মাস ১৯৮৯: ১১৯)।
সেদিনের প্রয়োজনীয়তাগুলো শুগো পদে নিযুক্ত ব্যক্তিদের দ্বারা সামরিক দক্ষতার সফল ব্যবহারের আহ্বান জানিয়েছিল। আশিকাগা শোগুন এবং স্থানীয় সামুরাইয়ের মধ্যে করদ সম্পর্কের মতো, শোগুন এবং শুগো প্রভুদের মধ্যে বন্ধন একই অর্থে মধ্যস্থতাকারী ছিল: প্রতিযোগিতামূলক আনুগত্যের জগতে, আশিকাগা শোগুনরা শুগো পোস্টগুলোতে যোদ্ধাদের নিয়োগ দিয়ে এই পুরুষদের নিজের আরও কাছাকাছি বেঁধে রাখার চেষ্টা করেছিল। সফল জেনারেলরা, যারা একই সাথে শাখা পরিবারের প্রধান ছিলেন যারা তাকাউজির বিদ্রোহের সাথে তাদের ভাগ্যে নিক্ষেপ করেছিলেন, তারাই প্রায়শই এই পদে পুরস্কৃত হন (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ২৩)। তাদের শাসকগোষ্ঠীর সাথে বেঁধে না রাখার মূল্য ছিল তাদের সমর্থন হারানো, এবং শাসন থেকে তাদের স্বাধীনতাকে উত্সাহিত করা।
শুগো পদে নিযুক্ত আশিকাগা শাখা পরিবারগুলোর মধ্যে হোসোকাওয়া, ইয়ামানা, ইমাগাওয়া, হাতাকেয়ামা, নিকি, কিরা, শিবা, ইশিদো এবং ইশিকি পরিবার অন্তর্ভুক্ত ছিল (পাপিনোট ১৯৭২: ২৭)। নির্দিষ্ট প্রদেশগুলোতে, আশিকাগা মূল শুগো পরিবারগুলোকে স্থানচ্যুত করতে ব্যর্থ হয়েছিল: কেন্দ্রীয় প্রদেশগুলোতে সাসাকি, তোগাশি, তাকেদা এবং ওগাসাওয়ারা এবং কিউশুতে শিমাজু, ওটোমো এবং শোনি (আর্নেসেন ১৯৭৯: ৬০)। মধ্য ও পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশগুলোতে প্রায় অর্ধেক নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত। সময় কান্নো ঘটনা, নতুন নিয়োগপ্রাপ্তদের সাথে আশিকাগা হেডশিপ (সোরিও) সম্পর্ক এই শুগোকে শাসনের প্রতি সরাসরি বিদ্রোহ থেকে মোটেও আটকাতে পারেনি। প্রকৃতপক্ষে, শুগো প্রভুদের তুলনায় এই সময়কালে শাসনের জবরদস্তিমূলক প্রতিষ্ঠানগুলোর শোচনীয়ভাবে অভাব ছিল।
শুগো প্রভুদের যা খুশি তা করতে বাধা দিয়েছিল তা হলো নিয়োগের ক্ষীণ যোগসূত্র। বিশেষত নতুন নিয়োগপ্রাপ্তরা যারা তাকাউজির সাথে আবির্ভূত হয়েছিল। যতক্ষণ না তারা তখনও প্রদেশগুলোতে তাদের ক্ষমতা তৈরি করতে পারেনি, ততক্ষণ শাসনের সাথে তাদের সংযোগ বজায় রাখার জন্য তাদের একটি স্বার্থান্বেষী উদ্দেশ্য ছিল। সুও এবং নাগাতো প্রদেশের ওচি এবং সাতসুমা প্রদেশের শিমাজুর মতো যেসব প্রাদেশিক পরিবার কামাকুরা আমলে ক্ষমতা অর্জন করেছিল, তারা তাদের নিজস্ব অধিকারে প্রভু ছিল। এই কারণে তার শাসন এবং তাদের শুগো উপাধির উপর কম নির্ভরশীল ছিল।
১৩৭২ এর পর শুগো প্রভুদের মুরোমাচি শাসনের জন্য কর (তানসেন) সংগ্রহের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। এই করগুলো অভিজাত থেকে শুরু করে সামুরাই পর্যন্ত জমির মালিকদের প্রতিটি শ্রেণীর উপর আঘাত করে। মধ্যস্থতাকারী হিসাবে, শুগো প্রতিটি পৃথক জমির মালিকের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় করের পরিমাণ বাড়িয়ে লাভ করেছিল (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ৭৫)। এই তারিখের মধ্যে, তারা গভর্নর হিসাবে অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছিল এবং তাই তাদের একটি নতুন শাসন কেন্দ্রিক কর তদারকির অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।
=== শুগো সিভিল ফাংশন এবং শুগো উইকের ব্যবহার ===
যা ফোকাসে আসে তা হলো শুগো প্রভু দ্বারা সিভিল গভর্নরের অফিসের ধীরে ধীরে কিন্তু অবিচলিত দখল এবং সামন্ততান্ত্রিক বন্ধনকে কার্যকর করার জন্য এই অবস্থানের ব্যবহার। শুগো পূর্ববর্তী গভর্নরদের মতো তার ঐতিহ্যবাহী প্রশাসনিক দক্ষতার মাধ্যমে নয়, বরং নানবোকু-চো যুদ্ধের সময় এস্টেটের জমি দখলকারী সামুরাইয়ের সাথে করদের মধ্যস্থতাকারী সম্পর্কের মাধ্যমে এবং সরকারি জমিতে বসবাসকারী সামুরাইদের সাথে (কোকুগারিও) কার্যকর করতে সক্ষম হয়েছিল। শুগো প্রভুরা উভয়ই গভর্নর ছিলেন, মুরোমাচি শাসন কর্তৃক তাদের দেওয়া কিছু বৈধ দায়িত্ব ছিল এবং সামন্ত প্রভুরা সামন্তদের প্ররোচিত করার চেষ্টা করেছিলেন।
নানবোকু-চো যুদ্ধ অভিজাতদের প্রতি নির্দয় ছিল যাদের জমিগুলো পূর্ববর্তী সামুরাই স্টুয়ার্ডরা সরাসরি নিয়েছিল এবং অবৈধভাবে ব্যক্তিগত হোল্ডিংয়ে (চিগিও) রূপান্তরিত হয়েছিল। এই বৈপ্লবিক বিকাশ পরবর্তীকালে সংঘটিত এস্টেট ব্যবস্থার সম্পূর্ণ তরলকরণের অগ্রদূত ছিল। শুগো প্রভুরাও তাদের উপর সামুরাই চাপিয়ে তাদের নিয়ন্ত্রণাধীন প্রাক্তন এস্টেটগুলো জড়ো করে এই পুরো জমি দখলে অংশ নিয়েছিল (নাগাহারা ১৯৮২: ১২)। হাস্যকরভাবে, যুদ্ধের উচ্চতায় জমিতে সামুরাই দখলদারিত্ব দ্বারা সৃষ্ট এই আইনহীন পরিস্থিতি ক্ষুদ্র সামুরাই থেকে কোকুজিন পর্যন্ত সমস্ত জমিদার স্বার্থের জন্য সুরক্ষা সমস্যা সৃষ্টি করেছিল এবং স্থানীয় সামুরাইদের মধ্যে করদ আকারে শুগো প্রভুদের সাথে মধ্যস্থতাকারী সম্পর্ক অর্জনের জন্য আরও প্রেরণা সরবরাহ করেছিল। শুগোর সাথে নিজেকে বেঁধে রেখে, তারা প্রদেশের এমন এক ব্যক্তির সাথে নিজেকে মিত্রতা করতে সক্ষম হয়েছিল যিনি একরকম স্থানীয় সুরক্ষা সরবরাহ করতে পারেন।
শুগো লর্ড এবং কোকুজিনের মধ্যে করদ সম্পর্ক প্রায়শই এস্টেটগুলোতে শুগো চুক্তি (শুগো-উকে) নামে পরিচিত একটি ত্রিমুখী মধ্যস্থতাকারী টাই হয়: একজন অভিজাত মালিক রাজধানীতে বসবাসকারী মালিককে সরবরাহ করা গ্যারান্টিযুক্ত বছরের শেষের (নেঙ্গু) আয়ের বিনিময়ে শুগোকে তার এস্টেট পরিচালনার দায়িত্ব দিতেন। শুগো প্রভু তখন ম্যানেজার হিসাবে সেই এস্টেটগুলোতে করদ রাজ্য সামুরাই (হিকান) নিযুক্ত করেছিলেন (মিয়াগাওয়া ১৯৭৭: ৯২; মিয়াগাওয়া ১৯৭৭: ৯২)। নাগাহারা ১৯৮২: ১৪)। অনুমিতভাবে, শুগো চুক্তিগুলো শুগো প্রভু, সামুরাই কোকুজিন এবং আভিজাত্যের স্বার্থকে একত্রে বেঁধেছিল। তবে স্বার্থের সমতার ভিত্তিতে ছিল না। তারা সত্যই এস্টেটগুলোতে শুগো দখলের যন্ত্র ছিল। চুক্তির মধ্যস্থতাকারী প্রকৃতি সম্পর্কে কোনও সন্দেহ নেই। কারণ এটি তিনটি গোষ্ঠীর স্বার্থকে সংযুক্ত করেছিল। তবে এটি শুগো প্রভুর পক্ষে সবচেয়ে অনুকূল ছিল যিনি এই যন্ত্রটি স্থানীয় সামুরাই (কোকুজিন) এর সাথে করদের সম্পর্ক প্রসারিত করতে এবং একই সাথে আভিজাত্যের ব্যয়ে তার জমি বেস প্রসারিত করতে ব্যবহার করেছিলেন। শুগো চুক্তি (শুগো-উকে) ১৩৪০ এর দশকে আবির্ভূত হয়েছিল এবং ধীরে ধীরে ব্যাপক হয়ে ওঠে (উইন্টারস্টিন ১৯৭৪: ২১১)। এই চুক্তিটি কীভাবে পরিচালিত হয়েছিল তা দেখে, এটি স্পষ্ট যে এস্টেট সিস্টেম (শোয়েন) যোদ্ধাদের দ্বারা কতটা দখল করা হয়েছিল এবং তার পূর্ববর্তী জীবনের একটি কঙ্কালে পরিণত হয়েছিল। শুগো প্রভুরা সামরিক সেবার বিনিময়ে সামুরাইকে এস্টেটের পরিচালনা দিয়েছিলেন, কিন্তু আভিজাত্যকে এস্টেটের সমস্ত ক্ষমতা ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছিল, তিনি যেখানে থাকতেন সেখানে বছরের শেষের (নেঙ্গু) আয়ের অংশের জন্য অপেক্ষা করতে হ্রাস পেয়েছিলেন। অভিজাত তার নিজের আয়ের অংশের গ্যারান্টি দেওয়ার জন্য কর অধ্যক্ষ (নেঙ্গু দাইকান) নিয়োগ করেছিলেন। তবে তাকে নিয়োগের জন্য অত্যধিক পরিমাণ অর্থ প্রদান করতে হয়েছিল। কোকুজিন এবং শুগো প্রভু দ্বারা ইতিমধ্যে হ্রাস করা অভিজাত আয় আরও হ্রাস পেয়েছিল যখন ট্যাক্স ওভারসিয়ার তার অর্ধেক নিয়েছিল। মহৎ আয়ের এই হ্রাস শুগো এবং সামুরাই উভয়ের পক্ষ থেকে ধীরে ধীরে অর্থ প্রদান না করার ফলাফল ছিল; শেষ ব্যবস্থা হিসাবে, অভিজাতরা যোদ্ধাদের উপর চাপ দেওয়ার উপায় হিসাবে মহাজন (ডিওএসও) এবং আমলাদের (বুগিওনিন) ভাড়া করেছিল। তবে এই প্রতিকারটিও দাগযুক্ত ফলাফল তৈরি করেছিল। কারণ ভাড়াটে হাতগুলো যোদ্ধাদের সাথে আলোচনা করতে হয়েছিল (নাগাহারা ১৯৮২: ১৬)।
=== শুগো এবং পাবলিক ল্যান্ডস (কোকুগারিও) ===
সম্প্রতি অবধি একটি বৃহত্তর অনুপস্থিত চিত্র হলো মুরোমাচি আমলে সরকারি জমিগুলোর ভাগ্য (কোকুগারিও) এবং তাদের উপর তাদের দখলদারিত্বে শুগো প্রভুদের ভূমিকা। হেইয়ান আমলে সরকারি জমি (কোকুগারিও) এস্টেটগুলোর ব্যক্তিগত জমি (শোয়েন) থেকে পৃথক ছিল। কারণ পরবর্তীকালে রাষ্ট্রীয় কর থেকে মুক্ত ছিল। বেসরকারি এস্টেটের উত্থানের আগে, একমাত্র ধরণের জমি ছিল পুরানো নাগরিক প্রশাসনের অধীনে রক্ষণাবেক্ষণ করা সরকারি জমি। হেইয়ান আমলে শোয়েন নামে পরিচিত বেসরকারি এস্টেটগুলোর উত্থানের সাথে সাথে সরকারি জমিগুলো কোনওভাবেই অদৃশ্য হয়ে যায়নি: বিশদভাবে, সরকারি জমিগুলো ব্যক্তিগত এস্টেট থেকে খুব কম আলাদা ছিল। দুটিরই মালিক ছিলেন অনুপস্থিত মালিকরা। তারা কেবল প্রশাসনের দিক থেকে পৃথক ছিল: বেসরকারি এস্টেটগুলো সরাসরি অভিজাত কর্মকর্তাদের দ্বারা পরিচালিত হত, অন্যদিকে, সরকারি জমিগুলো প্রাক্তনদের পক্ষে সিভিল গভর্নরদের (কোকুগা বা কোকুশি) দ্বারা পরিচালিত হত (আর্নেসেন ১৯৭৯: ৯৪)। কামাকুরা আমলে সরকারি জমিগুলো বিভিন্ন জমির মালিকদের ব্যক্তিগত হোল্ডিং (চিগিও) হিসাবে মালিকানাধীন ছিল। এই জমির মালিকদের মধ্যে অভিজাত বাড়ি, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান এবং যোদ্ধা অন্তর্ভুক্ত ছিল। কান্তো এবং উত্তর-পূর্বের পুরো অঞ্চল যোদ্ধাদের দখলে ছিল এস্টেট ম্যানেজার হিসাবে নয়, ব্যক্তিগত হোল্ডিং হিসাবে (নাগাহারা ১৯৮২: ১৫): কান্টো প্রদেশগুলো কামাকুরা শাসনকে ব্যক্তিগত জমি (চিগিওকোকু) হিসাবে দেওয়া হয়েছিল। আশিকাগা শাসন এই জমিগুলো উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছিল এবং ভাগ্যক্রমে তাদের উপরে শুগো প্রভুদের রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল (আর্নেসেন ১৯৭৯: ৯৪)।
সিভিল গভর্নর অফিসের (কোকুশি) অন্যতম প্রধান কাজ ছিল প্রদেশগুলোতে ফৌজদারি বিচারের তদারকি এবং সরকারি জমির মধ্যে ব্যক্তিগত হোল্ডিংগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ (কোকুগারিও)। তবে কামাকুরা শাসনের আবির্ভাবের সাথে তার কার্যকারিতা পরিবর্তন হতে শুরু করে (হল ১৯৬৬: ২০২-০৩)। কামাকুরা কর্তৃক শুগো কনস্টেবল নিয়োগের সাথে সাথে প্রদেশগুলোর মধ্যে সমস্ত ফৌজদারি এখতিয়ার তার হাতে চলে যায়। তবে সিভিল গভর্নর (কোকুশি) সিভিল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (রিটসুরিও) মূল কর্মকর্তা হিসাবে রয়ে গেলেন, যিনি নিশ্চিত করেছিলেন যে ব্যক্তিগত হোল্ডিং থেকে ভাড়া কিয়োতো এবং ইয়ামাশিরো প্রদেশের অনুপস্থিত অভিজাত এবং ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে (জিশা হোনজো) পৌঁছেছে। তাঁর তত্ত্বাবধানে যোদ্ধাদের ব্যক্তিগত হোল্ডিংগুলো অন্তর্ভুক্ত ছিল না, সাধারণত কানটো এবং আরও উত্তরে কেন্দ্রীভূত ছিল।
নানবোকু-চো যুদ্ধের প্রাদুর্ভাবের সাথে সাথে নাগরিক প্রশাসন (ঋতসুরিও) দ্রুত ভেঙে পড়তে শুরু করে এবং শুগো প্রভুরা, যাদের কামাকুরা আমলে প্রাদেশিক শাসনে সামান্য ভূমিকা ছিল, তারা সিভিল গভর্নরের দায়িত্ব দখল করতে আবির্ভূত হয়েছিল। এটি প্রতিটি প্রদেশে তাত্ক্ষণিকভাবে ঘটেনি। তবে শুগো প্রভুরা সরকারি জমিতে সত্যিকারের গভর্নর না হওয়া পর্যন্ত কোনও বাধা ছাড়াই ঘটেছিল (কোকুগারিও)। তারা সরকারি জমির মধ্যে ব্যক্তিগত হোল্ডিংয়ের তদারকি করার সাথে সাথে তারা বিভিন্ন ধরণের জমির মালিকদের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করেছিল: অভিজাত, বিভিন্ন ধরণের সামুরাই (কোকুজিন, জিজামুরাই) এবং ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের সাথে। তারা এই জমিগুলোতে তাদের নিজস্ব অনুসারীদের চাপিয়ে দিয়েছিল এবং সামরিক সেবার বিনিময়ে বিদ্যমান সামুরাইয়ের জমিগুলো পুনরায় নিশ্চিত করেছিল এবং অনুমানযোগ্য ফলাফলের সাথে অভিজাতদের সাথে শুগো চুক্তি প্রতিষ্ঠা করেছিল (নাগাহারা ১৯৮২: ১৫)। এস্টেটগুলোতে স্থানীয় সামুরাই (কোকুজিন) এর সাথে করদ সম্পর্কের পাশাপাশি, সরকারি জমিতে করদ বন্ধন একটি মূল সংস্থান হয়ে ওঠে যা শুগো প্রভুদের শক্তি বাড়িয়ে তোলে।
তদুপরি, ১৩৪৬ সালে মুরোমাচি শাসনের উত্থানের দশ বছর পর শোগুন শুগোকে এস্টেটগুলোতে ফসল চুরির মামলাগুলো বিচার করার এবং সাম্রাজ্যবাদী বাহিনীর কাছ থেকে নেওয়া যোগ্য করদ রাজ্যগুলোর জমির অস্থায়ী নিয়োগ দেওয়ার অধিকার দিয়ে কর্তৃত্বকে বিকেন্দ্রীকরণ করেছিল (আর্নেসেন ১৯৭৯: ৬৫)। এটি তাৎপর্যপূর্ণ ছিল, যতক্ষণ না কামাকুরা এখতিয়ারের ঐতিহ্যবাহী অঞ্চলগুলো মুরোমাচি শাসন দ্বারা "ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল"। পূর্বে, ফসল চুরি বা জমি বরাদ্দের সমস্ত মামলা কঠোরভাবে কামাকুরা প্রশাসনের অধীনে ছিল। এছাড়াও প্রায় একই সময়ে সাম্রাজ্যবাদী শক্তি তাদের সবচেয়ে খারাপ পরাজয়ের সম্মুখীন হচ্ছিল, এই পরিস্থিতি শত্রুদের জমি বাজেয়াপ্ত ও পুনর্নির্ধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দিচ্ছিল। শুগো প্রভুদের এই নতুন এখতিয়ার দেওয়ার মাধ্যমে এটি তাদের নির্ধারিত প্রদেশগুলোর গভর্নর হিসাবে তাদের অবস্থানকে আরও বাড়িয়ে তোলে।
=== বৈধতা এবং ক্ষমতার সীমাবদ্ধতা ===
এই দ্বৈত ক্ষমতায় শুগো প্রভুদের গভর্নর হিসাবে পরিচালিত জমির জন্য প্রদেশগুলোতে অন্যান্য জমি সামুরাইয়ের সাথে প্রতিযোগিতা করতে হয়েছিল। তবে ব্যক্তিগতভাবে মালিকানাধীন ছিল না। অভিজাত মালিকদের মতো, একক শুগো প্রভু বেশ কয়েকটি প্রদেশের বিস্তৃত অঞ্চলে জমির মালিক ছিলেন। তাঁর ক্ষমতা ষোড়শ শতাব্দীর আঞ্চলিক প্রভুদের (দাইমিও) মতো জমির ব্যক্তিগত মালিকানার উপর নির্মিত হয়নি। তবে করদের বন্ধনের মাধ্যমে স্থানীয় সামুরাইয়ের আনুগত্যের উপর নির্মিত হয়েছিল (মিয়াগাওয়া ১৯৭৭: ৯১-৯৩)। ষোড়শ শতাব্দীর আঞ্চলিক প্রভুদের দ্বারা অনেক বেশি জবরদস্তিমূলক সম্ভাবনা প্রয়োগ করা হয়েছিল। কারণ তাদের আশেপাশের জমিগুলোর মালিকানার উপর ভিত্তি করে তাদের করদের বন্ধন ছিল: মালিক হিসাবে তারা উপযুক্ত হিসাবে জমিটি ছেড়ে দিতে পারে, খুব বেশি ঝামেলা ছাড়াই অবাধ্য করদ রাজ্যগুলোর থেকে মুক্তি পেতে পারে। চতুর্দশ শতাব্দীতে, শুগো প্রভুরা অঞ্চলটির প্রদেশব্যাপী মালিকানা দাবি করতে পারেনি: প্রথমত, ব্যক্তিগত প্রাদেশিক মালিকানার ধারণাটি তখনও অনুন্নত ছিল; দ্বিতীয়ত, তারা কখনই প্রচুর পরিমাণে ব্যক্তিগত সম্পত্তি সংগ্রহ করেনি, বরং তাদের সামন্তদের দখল করার জন্য এস্টেট জমি এবং সরকারি জমির ঐতিহ্যবাহী কাঠামো ব্যবহারের উপর নির্ভর করেছিল। এটি চতুর্দশ শতাব্দীর কেন্দ্রীয় রহস্য: এস্টেট সিস্টেমের বিভাজন এবং বিলুপ্তি এবং নাগরিক প্রশাসনের অন্তর্ধান ব্যক্তিগত জমির বিস্তারের সাথে মিলে যায়। তবে এস্টেট সিস্টেমের বাহ্যিক কাঠামো (শোয়েন) এবং পাবলিক ল্যান্ডস সিস্টেম (কোকুগারিও), যদিও বিষয়বস্তু বিহীন, তবুও রয়ে গেছে (কিয়ারস্টেড ১৯৮৫: ৩১১-১৪)। বিভাজনের পরিপ্রেক্ষিতে, এটি ছিল শুগো করদের মধ্যস্থতাকারী সম্পর্ক এবং প্রাদেশিক গভর্নর হিসাবে শুগোর ভূমিকা। এটি কিছুটা হলেও ভিন্ন শক্তিকে সংহত করতে সহায়তা করেছিল।
যোদ্ধাদের হাতে যে অবক্ষয়ের শিকার হয়েছিল তার পরিপ্রেক্ষিতে এস্টেট ব্যবস্থা কীভাবে আদৌ বেঁচে ছিল তা আশ্চর্যের বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। উপরে বর্ণিত ক্ষয়িষ্ণু আকারে টিকে থাকার দুটি। কারণ ছিল: এক, মুরোমাচি শাসনের অস্তিত্ব ছিল যা যোদ্ধা আক্রমণের মুখে ধারাবাহিকভাবে এস্টেট ব্যবস্থাকে সমর্থন করেছিল (নাগাহারা ১৯৮২: ১৬)। দ্বিতীয় বিভাগে বর্ণিত হিসাবে, আশিকাগা তাকাউজি নিশ্চিত করার চেষ্টা করেছিলেন যে অর্ধেক করের পরিমাপ দ্বারা যোদ্ধাদের উপর নির্ধারিত সীমা অতিক্রম করা হয়নি। তবে তিনি শুগো চুক্তির মতো ব্যবস্থাগুলো এড়াতে ব্যর্থ হয়েছিলেন যা সত্যই তার সম্পত্তি এবং এর আয়ের আভিজাত্যকে অস্বীকার করেছিল। অর্ধ করের পরিমাপ নিজেই সামুরাইয়ের হাতে সম্পত্তির সরাসরি দখল থেকে আভিজাত্যকে রক্ষা করেনি, এমনকি যদি পরবর্তীকালে অর্ধ কর আইন পূরণের জন্য একটি অংশ হস্তান্তর করার প্রয়োজন হয়। শেষ পর্যন্ত, মুরোমাচি প্রশাসনই নিশ্চিত করেছিল যে সামুরাইরা তাদের আয়ের অংশ অভিজাতদের প্রদান করে।
এস্টেট ব্যবস্থার টিকে থাকার পেছনে অন্য কারণটি অভিজাত শ্রেণীর বৈধতার সাথে সংযুক্ত ছিল। এস্টেটে বসবাসকারী কৃষকদের মধ্যে যোদ্ধাদের উত্থান জনপ্রিয় ছিল না। অভিজাতদের আরও কোমল হাত ছিল সেই হাতটিও লোকেরা শ্রদ্ধা করতে এসেছিল। জনগণের মধ্যে সরাসরি অবাধ্যতা ও বিদ্রোহ রোধ করা শুগো প্রভু এবং কোকুজিন উভয়ই এস্টেট কাঠামোর বাহ্যিক রূপকে সম্মান জানাতে আসার একটি। কারণ ছিল। কৃষকদের চোখে তাদের শাসনকে বৈধ করার জন্য, যোদ্ধারা এস্টেট কাঠামোর কাঠামোর মধ্যে কাজ করেছিল, যদিও এই কাঠামোটি পুরোপুরি পরিবর্তিত হয়েছিল (নাগাহারা ১৯৮২: ১৬-৭)। একটি মামলা তৈরি করা যেতে পারে যে ইয়ামাশিরো প্রদেশের বাইরে এস্টেট ব্যবস্থা এমন পরিমাণে ক্ষয়প্রাপ্ত হয়েছিল, প্রদেশগুলোতে অভিজাতদের কোনও প্রভাব অবশিষ্ট ছিল না।
== আশিকাগা শক্তি একীকরণ: ১৩৬০-১৩৭০ ==
১৩৫৮ সালে তাকাউজির মৃত্যুর পর শোগুনতন্ত্র তার পুত্রের হাতে চলে যায় যোশিয়াকিরা। তাঁর নেতৃত্বে, এবং কানরেই হোসোকাওয়া ইয়োরিয়ুকির নেতৃত্বে, শাসনব্যবস্থা ১৩৬০ এবং ৭০ এর দশকে শুগো প্রভুদের সংহত করতে সফল হয়েছিল: আশিকাগার শুগো শাখা পরিবারগুলো সরকারি আমলাতন্ত্রের মধ্যে নিযুক্ত ছিল। আমি নিম্নলিখিত পয়েন্টগুলো কভার করব: ১) কানরেই কাউন্সিল সিস্টেমের উত্থান, এবং মধ্যস্থতাকারী যন্ত্র হিসাবে বোর্ড অফ রিটেইনার্স যা শুগো প্রভুদের শাসনের সাথে আরও দৃঢ়ভাবে আবদ্ধ করেছিল; ২) শোগুনাল আধিপত্যের আকারে একটি জবরদস্তিমূলক যন্ত্রের উত্থান যা ভ্রান্ত শুগো প্রভুদের শৃঙ্খলাবদ্ধ করতে ব্যবহৃত হয়েছিল এবং দক্ষিণ দরবারের বাহিনীর চূড়ান্ত পরাজয়; ৩) দরবারের র্যাংকিং সিস্টেমের ব্যবহার একটি মধ্যস্থতাকারী যন্ত্র হিসাবে যা শাসনকে রাজকীয় দরবারের সাথে আবদ্ধ করেছিল এবং এর সাথে সম্পর্কিত ১৩৬৮ সালের হানজেই অর্ধ-কর ডিক্রি এবং এর প্রভাব। ৪) কিউশু ও কানটো অঞ্চলে মুরোমাচি কর্তৃপক্ষের সীমাবদ্ধতা।
শাসনব্যবস্থাকে পুনর্গঠন করে কান্নো ঘটনার ক্ষত নিরাময়ের জন্য শোগুন যোশিয়াকিরার উপর ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। ১৩৬২ সালে তিনি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেছিলেন যা শুগো প্রভুদের শাসনের সাথে সংযুক্ত করেছিল: কানরেই কাউন্সিল সিস্টেম। এই ব্যবস্থাটি দুটি উপাদান নিয়ে গঠিত হয়েছিল, কানরেই অফিস এবং সিনিয়র করদ রাজ্য কাউন্সিল (জুশিন কাইগি) যার উপর কানরেই সভাপতিত্ব করেছিলেন। কানরেই কাউন্সিল ব্যবস্থায় সবচেয়ে শক্তিশালী শুগো পরিবারকে সরাসরি মধ্য ও পশ্চিম জাপান শাসনে অংশগ্রহণকারী হিসাবে জড়িত করা হয়েছিল। শোগুনের পাশাপাশি, কানরেই কাউন্সিল মুরোমাচি শাসনের হৃদয় গঠনের জন্য এমন পরিমাণে আবির্ভূত হয়েছিল, ইতিহাসবিদরা এই শাসনকে বাকুফু-শুগো সিস্টেম হিসাবে চিহ্নিত করতে এসেছেন (তনুমা ১৯৭৬: ১২; তানুমা ১৯৭৬: ১২)। হ্যারিংটন ১৯৮৫: ৬৭)।
=== কানরেই কাউন্সিল এবং প্রতিষ্ঠানের পুনর্গঠন ===
কানরেই কাউন্সিল ব্যবস্থা মধ্যস্থতাকারী ছিল। কারণ এটি আমলাতান্ত্রিক শাসনের সামরিক দিককে একত্রিত করেছিল। কান্নো ঘটনার সাথে উদ্ভূত দ্বন্দ্বটি তাকাউজি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত সামরিক করদ রাজ্য প্রতিষ্ঠান এবং তাদায়োশি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত আমলাতান্ত্রিক-বিচারিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে বিচ্ছেদ এবং সংঘর্ষের সাথে সম্পর্কিত। কানরেই কাউন্সিল ব্যবস্থার উত্থানের সাথে সাথে প্রশাসনের সামরিক পক্ষের প্রতিনিধিত্বকারী শুগো প্রভুরা নীতি সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় হিসাবে আমলাতন্ত্রের সাথে দৃঢ়ভাবে আবদ্ধ ছিলেন।
কানরেই অফিস নিজেই শোগুনের সাথে শুগো প্রভুদের স্বার্থকে একত্রিত করে মধ্যস্থতার একটি ভাল উদাহরণ। কানরেইয়ের কাজ ছিল সিনিয়র করদ রাজ্য কাউন্সিল (জুশিন কাইগি) এবং শোগুনের মধ্যে মুখপাত্র হিসাবে কাজ করা, দুজনের মধ্যে মধ্যস্থতা করা (কাওয়াই ১৯৭৭: ৭০)। কানরেইয়ের দৈনন্দিন ভিত্তিতে শাসনের আমলাতান্ত্রিক উপাদানগুলো দেখার, পরামর্শ করা এবং কাউন্সিল এবং আমলাতন্ত্রের কাছে শোগুনাল আদেশগুলো প্রেরণ করাও দায়িত্ব ছিল। কান্রেই ধারাবাহিকভাবে চার প্রজন্মের মধ্যে তাকাউজির সাথে সম্পর্কিত তিনটি শুগো পরিবারের বংশগত গোষ্ঠী থেকে নির্বাচিত হয়েছিল (পাপিনোট ১৯৭২: ২৭): হোসোকাওয়া, হাতাকিয়ামা এবং শিবা। তিনটি পরিবার পালাক্রমে পদটি পূরণ করেছিল। তারা শাসকদের সর্বোচ্চ পদমর্যাদার শুগো পরিবার ছিল এবং কানরেইয়ের পদটি এর সমর্থনে তাদের স্বার্থকে বেঁধে রাখতে সহায়তা করেছিল।
কানরেই কাউন্সিল ব্যবস্থার অন্য উপাদানটি ছিল সিনিয়র করদ রাজ্য কাউন্সিল (জুশিন কাইগি)। কানরেই কাউন্সিলের সভাগুলোর সভাপতিত্ব করেছিলেন, কাউন্সিলের সিদ্ধান্তগুলো শোগুনকে রিলে করেছিলেন এবং শোগুন থেকে কাউন্সিলে আদেশ প্রেরণ করেছিলেন। এই ব্যবস্থায়, কাউন্সিল এবং শোগুনের মধ্যে পরামর্শের মাধ্যমে শাসন নীতি প্রণয়ন করা হয়েছিল, যদিও চূড়ান্ত সিদ্ধান্তগুলো পরবর্তীকালে নেওয়া হয়েছিল (কাওয়াই ১৯৭৭: ৭০-৭১; কাওয়াই ১৯৭৭: ৭০-৭১)। সাতো ১৯৭৭: ৪৮)। শুরুতে, কাউন্সিলটি তিনটি শুগো পরিবারের প্রধানদের সমন্বয়ে গঠিত হয়েছিল যাদের কাছ থেকে কানরেই নিয়মিত নির্বাচিত হয়েছিল এবং শক্তিশালী শুগো পরিবারের আরও চারটি প্রধান: ইয়ামানা, ইশিকি, আকামাতসু এবং কিয়োগোকু (ভার্লি ১৯৬৭: ২৭-৯)। শেষোক্ত দুটি পরিবার আশিকাগা পরিবারের সাথে সম্পর্কিত ছিল না। পরবর্তী কয়েক দশক ধরে ওচি, সাসাকি এবং টোকি পরিবারগুলোর নিয়োগের সাথে সম্পর্কহীন শুগো পরিবারগুলোকে কাউন্সিলে অন্তর্ভুক্ত করার এই প্রবণতা অব্যাহত ছিল। এই প্রবণতাটি ইঙ্গিত দেয় যে শক্তিশালী শুগো পরিবারগুলো, আত্মীয়তা নির্বিশেষে, সিনিয়র করদ রাজ্য কাউন্সিলের মধ্যস্থতাকারী প্রকৃতির মাধ্যমে শাসনের সাথে আবদ্ধ ছিল: শুগো প্রভু এবং শোগুনের মধ্যে দ্বন্দ্ব এবং সম্ভাব্য স্বার্থের দ্বন্দ্বকে শুগো প্রভুদের কাউন্সিলের মধ্যে আলোচনায় তাদের মতামত জানাতে দিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়া হয়েছিল। বোর্ড অফ রিটেইনার্স (সামুরাইডোকোরো) চতুর্দশ শতাব্দীতে ইমাগাওয়া (যিনি একটু পরে কাউন্সিলের সদস্য হয়েছিলেন), হোসোকাওয়া, হাতাকেয়ামা, শিবা এবং টোকির মধ্যে থেকে নির্বাচিত একজন সিনিয়র করদ রাজ্য কাউন্সিল সদস্যেরও নেতৃত্বে ছিলেন। কিয়োতোর রাজধানীতে পুলিশ কার্যাবলী এবং ফৌজদারি বিচার সম্পাদনের উপর বোর্ড অফ রিটেইনারদের দায়িত্ব ছিল (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ৮৮,১০৭)। অফিসধারী স্বয়ংক্রিয়ভাবে জাপানের সবচেয়ে ধনী এবং সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ ইয়ামাশিরো প্রদেশের উপর শুগো হয়ে ওঠে এবং শাসনের সদর দফতর এবং কিয়োতো শহর রক্ষার দায়িত্ব ছিল (ভার্লি ১৯৬৭: ৫৭)। পঞ্চদশ শতাব্দীর শুরুতে, চারটি শুগো পরিবারের মধ্যে থেকে অনুচর বোর্ডের প্রধান বেছে নেওয়া হয়েছিল: ইয়ামানা, আকামাতসু, কিয়োগোকু এবং ইশিকি। রিটেইনার্স বোর্ড কানরেই কাউন্সিল সিস্টেম যা করেছিল তা করেছিল: এটি শুগো প্রভুদের স্বার্থকে শাসনের সাথে সংযুক্ত করেছিল এবং এর ফলে তাদের মধ্যে সম্ভাব্য দ্বন্দ্বের মধ্যস্থতা করেছিল। শাসকগোষ্ঠীর সম্ভাব্য সংঘাতের উৎস শুগো প্রভুরা শাসকগোষ্ঠীর একটি প্রতিষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী হয়ে ওঠায় মধ্যস্থতাকারী ছিল।
সিনিয়র করদ রাজ্য কাউন্সিল এবং রিটেইনার্স বোর্ডে শুগোর অংশগ্রহণ পুনর্নির্মিত শাসনব্যবস্থায় তাদের অংশগ্রহণের আরও দুটি বিশিষ্ট উদাহরণ ছিল। এই অংশগ্রহণের গুরুত্বকে অবমূল্যায়ন করা যায় না: এই মধ্যস্থতাকারী যন্ত্রগুলো ব্যবহারের মাধ্যমেই আশিকাগা শোগুনরা তাদের নির্দেশনায় রাষ্ট্রকে কেন্দ্রীভূত করতে সক্ষম হয়েছিল। যেমনটি আমরা বারবার দেখব, মুরোমাচি সমাজের সমস্ত স্তরে নিয়োগের ব্যবস্থা হিসাবে হেডশিপ বন্ধন (সোরিও) আকারে আত্মীয়তা বড় হয়ে উঠেছে: এখানেও, সর্বোচ্চ অবস্থানের শুগো প্রভুরা বেশিরভাগই আশিকাগার শাখা পরিবার ছিল। যাইহোক, এই আত্মীয়তার বন্ধনগুলো আধা-স্বাধীন শুগো প্রভু এবং শাসকদের মধ্যে মধ্যস্থতার পথে খুব কমই কাজ করেছিল। বরং কানরেই কাউন্সিল ব্যবস্থার মাধ্যমে শাসন পরিচালনায় শুগো প্রভুদের কার্যকর অংশগ্রহণ ছিল যা তাদের স্বার্থকে শাসনের সাথে আগের চেয়ে আরও দৃঢ়ভাবে আবদ্ধ করেছিল।
=== আশিকাগা এবং শুগো জোটের উসে ===
১৩৬২ সালে দেশের দুটি সবচেয়ে শক্তিশালী শুগো ঘর, ওউচি এবং ইয়ামানা, এই শর্তে আশিকাগা শাসনের কাছে আত্মসমর্পণ করেছিল যে শোগুন তাদের নিজ নিজ প্রদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবে না (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ২৫)। পরবর্তীকালে, ইয়ামানা, যারা আশিকাগার সাথে সম্পর্কিত ছিল এবং ওউচি, যারা সম্পর্কিত ছিল না, সরকারি বিষয়ে ক্রমবর্ধমান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে শুরু করে। যাইহোক, কয়েক দশকের মধ্যে, উভয় শুগো ঘর শোগুনের ক্রোধের জন্য যথেষ্ট শক্তিশালী হয়ে ওঠে।
১৩৬৬ সালে প্রথম কানরেই অফিসধারীর পিতা, শিবা টাকাতসুনে, যিনি তার তেরো বছর বয়সী ছেলের উপর আসল ক্ষমতা রেখেছিলেন এবং যিনি শিবা পরিবারের সদস্যদের মূল সরকারি অফিসগুলোতে বসানোর ইঞ্জিনিয়ার করেছিলেন, তার ক্রমবর্ধমান শক্তি এবং অহংকারের কারণে বিশ্বাসঘাতক হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছিল (তিনি কানরেই পদ গ্রহণ করে অবমাননা বোধ করেছিলেন, তাই তার পরিবর্তে তিনি তার ছেলেকে নিয়োগ দিয়েছিলেন)। একটি গুরুত্বপূর্ণ শুগো পরিবারের বিরুদ্ধে শক্তির প্রথম প্রদর্শনে, যোশিয়াকিরা ইয়ামানা, সাসাকি, যোশিমি এবং টোকি শুগো প্রভুদের এচিজেন প্রদেশের শিবা আক্রমণ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। শিবা পরাজিত হয়েছিল এবং এচিজেনে তাদের অঞ্চল পুনরায় বিতরণ করা হয়েছিল (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ৯২)। ১৩৬৭ সালে শিবা পরিবারকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর হোসোকাওয়া ইয়োরিয়ুকিকে কানরেই পদের উত্তরসূরি হিসাবে নামকরণ করা হয়েছিল: শোগুন যোশিয়াকিরার মৃত্যুর পর ইয়োরিয়ুকি তরুণ শোগুন যোশিমিতসুর সংখ্যালঘু থাকাকালীন শাসনকে আরও দৃঢ় ভিত্তির উপর স্থাপন করতে সক্ষম হন। ১৩৬৬ সালে তাদের নিজস্ব সহকর্মীদের একজনকে আক্রমণ করার জন্য শুগো প্রভুদের ব্যবহার, শুগো প্রভুদের তুলনায় শোগুনের ক্রমবর্ধমান কর্তৃত্ব এবং বয়সের সাথে বাড়তে থাকা জবরদস্তির একটি কার্যকর যন্ত্রের উত্থানের দিকে ইঙ্গিত করে। তখন পর্যন্ত, আমরা সত্যিকারের শৃঙ্খলাবদ্ধ ব্যবস্থার কার্যত অস্তিত্বহীনতা দেখেছি যা শোগুন তার শুগো প্রভুদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে পারে। শোগুন এবং শুগো প্রভুদের মধ্যে উদ্ভূত নতুন মধ্যস্থতাকারী যন্ত্রগুলোর সাথে একত্রে, শোগুন-শুগো জোটের মাধ্যমে এক শুগো প্রভুকে অন্যের বিরুদ্ধে দাঁড় করানোর নতুন জবরদস্তিমূলক যন্ত্রটি শোগুনের হাতকে শক্তিশালী করেছিল।
১৩৬২ সালে কিয়োতোর বিরুদ্ধে সর্বশেষ দক্ষিণ দরবারের আক্রমণ আশিকাগাকে রাজধানী থেকে সরে আসতে বাধ্য করেছিল। তবে পূর্ববর্তী অনেক প্রচেষ্টার মতো, সাম্রাজ্যবাদীদের শেষ পর্যন্ত কিছু অর্জন না করেই একটি বড় পাল্টা আক্রমণের মুখে পিছু হটতে হয়েছিল (সানসোম ১৯৬১: ১০৮)। ১৩৫০-এর দশকে সাম্রাজ্যবাদী সেনাবাহিনীর মধ্যে যে উচ্ছ্বাস ছিল তা ম্লান হয়ে গেছে। এই তারিখের পরে প্রতিরোধ বিক্ষিপ্ত এবং সম্পূর্ণ প্রতিরক্ষামূলক হয়ে ওঠে। অবশেষে ১৩৬৯ সালে সম্রাট গো-মুরাকামির মৃত্যুর এক বছর পর কট্টর সাম্রাজ্যবাদী জেনারেল কুসুনোকি মাসানোরি শাসকগোষ্ঠীর কাছে আত্মসমর্পণ করেন। তাঁর আত্মসমর্পণের ফলে কেন্দ্রীয় প্রদেশগুলোর প্রতি সাম্রাজ্যবাদী হুমকির অবসান ঘটে (সানসোম ১৯৬১: ১০৮)।
=== দরবারের কাছে বৈধতা চাওয়া ===
১৩৭০ সালে ইমাগাওয়া সাদায়ো (রিওশুন) দ্বারা নিযুক্ত করা হয়েছিল কানরেই ইয়োরিয়ুকি এবং সিনিয়র করদ রাজ্য কাউন্সিল কিউশুতে দক্ষিণ দরবারের প্রতিরোধের শেষ দুর্গটি নামিয়ে আনতে। বারো বছরের কঠোর অভিযানের পর সাম্রাজ্যবাদী প্রতিরোধ ১৩৮১ সালে কিকুচি পরিবারের পরাজয়ের সাথে ভেঙে পড়ে। ১৩৮৫ সালে শিমাজু উজিহিসার মৃত্যুর সাথে সাথে সর্বশেষ কিউশু প্রাদেশিক ডোমেন শাসনব্যবস্থার প্রতি তার আনুগত্য ঘোষণা করেছিল (সানসোম ১৯৬১: ১১২)। কিউশুর পতনের সাথে সাথে সমগ্র পশ্চিম জাপান আশিকাগা শাসনের শাসন ও প্রভাবের অধীনে আসে। তবে অভিজাতদের উপর আশিকাগা শাসনকে বৈধতা দেওয়ার জন্য একা প্রচারণা অপর্যাপ্ত ছিল। ১৩৬৭ এর পর শোগুন যোশিমিতসুর সংখ্যালঘু সময়ে, কানরেই হোসোকাওয়া ইয়োরিয়ুকি অভিজাতদের চোখে শাসনকে বৈধতা দেওয়ার প্রয়াসে সক্রিয় হয়ে ওঠেন। তিনি বেশ কয়েকটি অত্যন্ত রক্ষণশীল পদক্ষেপের মাধ্যমে এটি করেছিলেন, কিয়োতোর অভিজাতদের মধ্যে প্রতিপত্তি অর্জন করেছিলেন। তিনি তরুণ শোগুনকে এতে অংশ নিয়ে একটি প্রাচীন দরবার র্যাংকিং সিস্টেম ব্যবহার করেছিলেন (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ২৬)। তিনি অতীতের যে কোনও যোদ্ধা নেতার চেয়ে দরবারের সাথে শাসকগোষ্ঠীকে আরও ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত করেছিলেন। এটি করার মাধ্যমে, তিনি শাসনকে রাজদরবারের কাছাকাছি বেঁধে রেখেছিলেন, যার ফলে নানবোকু-চো দ্বন্দ্বে ইন্ধন জুগিয়েছিল এমন মতাদর্শের কলঙ্ক মুছে ফেলা হয়েছিল: আশিকাগা তাকাউজিকে সাম্রাজ্যবাদী শক্তি পুনরুদ্ধারের বিরুদ্ধে লড়াই করা বিশ্বাসঘাতক হিসাবে দেখা হয়েছিল।
জাপানি সমাজের বিভিন্ন শ্রেণির মধ্যে এর জনপ্রিয়তার কারণে দরবার সমাজ এত দীর্ঘ সময় টিকে ছিল। এস্টেট স্তরে, কৃষকরা যোদ্ধাদের চেয়ে অভিজাতদের সাথে অনেক বেশি ঘনিষ্ঠ বোধ করেছিল। অভিজাতদের ক্ষয়িষ্ণু শক্তি সত্ত্বেও, তাদের প্রভাব তাদের প্রকৃত ক্ষমতার বাইরে চলে গিয়েছিল। কারণ তারা ঐতিহ্যের বৈধতা এবং সংস্কৃতির ক্যারিশমা ধারণ করেছিল যা যোদ্ধাদের ছিল না। এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই যে ইয়োরিয়ুকি তরুণ শোগুনকে দরবারের অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিল: এই অংশগ্রহণটি মধ্যস্থতাকারী ছিল, দরবারের র্যাংকিং সিস্টেমের সর্বোচ্চ সামরিক নেতাকে জড়িত করেছিল যা বেশ কয়েক শতাব্দী আগের, এবং এর ভিত্তি হিসাবে যোদ্ধাসহ প্রত্যেকের উপর সাম্রাজ্যবাদী ধারার প্রাধান্য ছিল, যাদের সম্রাটের কাছ থেকে উপাধি পেতে হয়েছিল। এই দরবারের র্যাংকিং রীতিতে অংশ নিয়ে, আশিকাগা শাসন পুরো সমাজকে একটি শক্তিশালী বার্তা পাঠাচ্ছিল: দরবার কর্তৃক প্রদত্ত বৈধতা তখনও বৈধ এবং তখনও গুরুত্বপূর্ণ (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ২০)। এই অংশগ্রহণ যোদ্ধা শাসন এবং দরবারের মধ্যে উত্তেজনা দূর করেছিল এবং যোদ্ধা শ্রেণির মধ্যে দরবারের সংস্কৃতি প্রচারের অনিচ্ছাকৃত প্রভাব ফেলেছিল, স্বাদের একটি সংমিশ্রণ তৈরি করেছিল যা চিরকালের জন্য জাপানি সংস্কৃতির এই সময়টিকে উজ্জ্বল উদ্ভাবনের এক হিসাবে চিহ্নিত করেছে। একদিক থেকে এই অংশগ্রহণ ছিল একটি অপ্রচলিততা যা বাস্তব জগৎ থেকে সরানো বলে মনে হয়েছিল,খানে যোদ্ধারা সরাসরি ক্ষমতা প্রয়োগ করত। তবে বৈধতার প্রশ্নটি অগত্যা ক্ষমতার প্রত্যক্ষ অনুশীলনের সাথে আবদ্ধ নয়। বৈধতা মতাদর্শের সাথে আবদ্ধ, এবং অভিজাত আভিজাত্য শাসনের আদর্শিক ভিত্তি যোদ্ধাদের শাসনের চেয়ে ভাল ভিত্তি ছিল। একা শক্তি প্রয়োগ বৈধতা তৈরি করতে পারে না, এবং দরবারকে ঘিরে যে সাংস্কৃতিক পরিবেশ ছিল তা তখনও সামুরাই তরোয়ালের চেয়ে অনেক বেশি প্ররোচিত, অনেক বেশি মার্জিত ছিল। যোদ্ধারা নিজেরাই আভিজাত্যদের সংস্কৃতির প্রতি আকৃষ্ট হয়েছিল এবং উত্সাহের সাথে পরবর্তীকালের স্বাদগুলো অনুকরণ করেছিল যতক্ষণ না তারা এমন একটি সংশ্লেষণ তৈরি করতে সক্ষম হয়েছিল যা আগে যা ছিল তার বাইরে চলে গিয়েছিল যেমন জেন দ্বারা প্রভাবিত রক গার্ডেনের উত্থান অন্যান্য শিল্প ফর্মগুলোর মধ্যে যা আজ অবধি স্থায়ী প্রভাব ফেলেছে। এবং কেবল এই কারণেই, চতুর্দশ শতাব্দীর শেষ কয়েক দশক ধরে শোগুন এবং রাজদরবারের মধ্যে যে সংযোগ কার্যকর হয়েছিল, তা শোগুনের শক্তির বৈধতা প্রশস্ত করার প্রভাব ফেলেছিল।
দ্য কানরি ইয়োরিয়ুকি ১৩৬৮ সালে শেষ অর্ধ-কর ডিক্রি (হানজেই) জারি করেছিলেন। এই ডিক্রিটি একটি বিস্তৃত এবং সিদ্ধান্তমূলক মধ্যস্থতাকারী যন্ত্র ছিল যা শাসকদের সাথে মহৎ স্বার্থকে বেঁধে রাখার জন্য ব্যবহৃত হয়েছিল: এটি রাজকীয় পরিবারের মালিকানাধীন জমি, প্রধান উপাসনালয়গুলোর নিয়ন্ত্রণাধীন জমি এবং রাজকীয় রিজেন্টদের মালিকানাধীন জমি (ফুজিওয়ারা) নিষিদ্ধ করেছিল। ব্যতিক্রমগুলোর মধ্যে আভিজাত্য জমিগুলোও অন্তর্ভুক্ত ছিল যা পূর্ববর্তী শোগুন (সম্ভবত যোশিয়াকিরা?) দ্বারা সম্পূর্ণ শিরোনাম দেওয়া হয়েছিল এবং সামুরাই স্টুয়ার্ডস (জিটো) দ্বারা পরিচালিত এস্টেটগুলো (উইন্টারস্টিন ১৯৭৪: ২১৯-২০)। এই ডিক্রিটি দেশব্যাপী সমস্ত এস্টেটের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য ছিল এবং এর আসল গুরুত্ব ছিল এস্টেটগুলোতে আরও সামুরাই আক্রমণ রোধ করতে এবং ইতিমধ্যে সংঘটিত সামুরাই আক্রমণের মুখে অভিজাতদের স্বার্থ রক্ষার জন্য ব্যবহৃত শক্তিশালী ভাষা। পূর্ববর্তী অর্ধ-করের ডিক্রিগুলোর বিপরীতে, এটি রক্ষণশীল ছিল এবং এর লক্ষ্য ছিল অভিজাত জমিগুলোকে ন্যায়সঙ্গত করার পরিবর্তে বিভাজন থেকে রক্ষা করা।
১৩৬৮ অর্ধ-কর ডিক্রির সাথে, শাসনটি ১৩৫২ ডিক্রি থেকে অনেক দূরে এসেছিল। তবে ইতিমধ্যে সংঘটিত সামুরাই আক্রমণের বাস্তবতা বিপরীত করা যায়নি। এখানে, মতাদর্শগতভাবে প্রকাশ্যে যা বলা হয়েছিল তা প্রদেশগুলোতে প্রকৃতপক্ষে যা ঘটছিল তা থেকে বিচ্যুত হয়েছিল। যেমনটি আমরা উপরে দেখেছি, ১৩৬৮ ডিক্রি সত্ত্বেও এস্টেটগুলোতে সামুরাই এবং শুগো প্রভুদের আক্রমণ মারাত্মক ছিল। আর পঞ্চদশ শতাব্দীতে ভূমি দখলের এই প্রবণতা আরও প্রকট হতে থাকে। আমাকে অবশ্যই এই সিদ্ধান্তে উপনীত হতে হবে যে ১৩৬৮ ডিক্রিটি যোদ্ধাদের অব্যাহত যোদ্ধা টেকওভারের প্রমাণের কারণে এস্টেট এবং তাদের আয়ের উপর নিয়ন্ত্রণ নেওয়া থেকে বিরত রাখতে সামগ্রিকভাবে অকার্যকর ছিল। এক অর্থে, ১৩৬৮ সালের ডিক্রিটি একটি আদর্শিক দলিল ছিল যা শোগুন এবং রাজকীয় দরবারের মধ্যে প্রতিষ্ঠিত ঘনিষ্ঠ সংযোগগুলো অনুসরণ করে আভিজাত্যদের চোখে আশিকাগা শাসনকে বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। তদুপরি, আশিকাগা শোগুনরা ইচ্ছা থাকলেও এস্টেটগুলোর আয়ের উপর যোদ্ধাদের অব্যাহত আক্রমণ বন্ধ করতে সক্ষম ছিল না। যতই অকার্যকর হোক না কেন, ১৩৬৮ সালের ডিক্রি স্বীকৃত মহৎ স্বার্থ একটি যোদ্ধা শাসন দ্বারা মতাদর্শগতভাবে রক্ষা করা হয়েছিল এবং এই প্রক্রিয়ায় উভয়ের স্বার্থকে একত্রে আবদ্ধ করা হয়েছিল।
অবশেষে, ১৩৬০-এর দশকে আবির্ভূত মুরোমাচি শাসনের প্রত্যক্ষ শাসন ভৌগোলিকভাবে কান্তোতে অবস্থিত পূর্ববর্তী কামাকুরা শাসনের বিপরীতে পশ্চিম ও কেন্দ্রীয় প্রদেশগুলোতে সীমাবদ্ধ ছিল। বাইরে শুগো লর্ডস (তোজামা) আশিকাগার সাথে সম্পর্কিত নয় যেমন টেকেদা, চিবা, ইউকি, সাতাকে, ওয়ামা, উতসুনোমিয়া, শোনি, ওটোমো, আসো এবং শিমাজু পরিবারগুলো, যাদের সকলেই কানটো এবং কিউশু অঞ্চলে বা তার কাছাকাছি কেন্দ্রীভূত ছিল তারা কানরেই কাউন্সিল ব্যবস্থায় অংশ নেয়নি এবং শাসন থেকে আধা-স্বাধীন ছিল (ভার্লি ১৯৬৭: ২৯; ভার্লি ১৯৬৭: ২৯)। হল ১৯৬৬: ১৯৯)। কিয়োতো থেকে সহজে নিয়ন্ত্রিত হয়নি এমন অঞ্চলে তাদের প্রধান অবস্থানের কারণে আশিকাগা দ্বারা তাদের মৌনভাবে স্বীকৃত এবং শুগো উপাধি দেওয়া হয়েছিল (হ্যারিংটন ১৯৮৫: ৬৭)।
=== কিউশু ===
১৩৭০ সালে শুরু হওয়া কিউশু অভিযানের পর কিউশু ডেপুটি (তান্দাই) সেই দ্বীপে মুরোমাচি শাসনের প্রতিনিধি হন। ইমাগাওয়া সাদায়ো (রিওশুন) কার্যকরভাবে দক্ষিণ দরবারের বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযানের বিচার করেছিলেন এবং শিমাজু উজিহিসার বাহিনীর বিরুদ্ধে তার আক্রমণ চালিয়ে যান, প্রক্রিয়াটিতে স্থানীয় কিউশু কোকুজিনের সমর্থন অর্জন করেছিলেন (হ্যারিংটন ১৯৮৫: ৮৫-৬)। সাদায়োর মতো ডেপুটিরা তাদের নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে মুরোমাচির প্রতিনিধি ছিলেন, এমনকি যখন তারা স্থানীয় সামুরাইকে করদের পুরো ক্ষমতা অহংকার করেছিলেন। উদাহরণস্বরূপ, ১৩৭৭ সালে সাদায়ো এবং একষট্টি জন স্থানীয় সামুরাইয়ের সমন্বয়ে একটি সামুরাই জোট (ইক্কি) এর মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। চুক্তিতে শর্ত দেওয়া হয়েছিল, জোটের সদস্যদের মধ্যে সমস্ত বিরোধ কিউশু ডেপুটির কাছে নিয়ে যাওয়া হবে, যখন জোটের সদস্য এবং ডেপুটির মধ্যে বিরোধগুলো কিয়োতোর মুরোমাচি শাসনে নিয়ে যাওয়া হবে (হ্যারিংটন ১৯৮৫: ৮৭)। কিউশু ডেপুটি ছিলেন একজন মধ্যস্থতাকারী ব্যক্তিত্ব যিনি শাসকদের স্বার্থ এবং তার এখতিয়ারাধীন স্থানীয় অঞ্চলের স্বার্থকে একত্রিত করেছিলেন। স্বাধীনতার প্রলোভনের কারণে এটি একটি অনিশ্চিত অবস্থান ছিল। তবে যে কোনও কারণেই হোক না কেন, মুরোমাচি শাসন পুরো জাতির উপর তাদের সরাসরি নিয়ন্ত্রণ প্রসারিত করেনি এবং তাই জবরদস্তিমূলক ও মধ্যস্থতাকারী যন্ত্রের মাধ্যমে এই অঞ্চলের শুগো প্রভু এবং সামুরাইকে প্রভাবিত করার জন্য তাদের প্রতিনিধি হিসাবে কাজ করার জন্য কিউশু ডেপুটির মতো নিয়োগকারীদের উপর নির্ভর করতে এসেছিল।
=== কান্তো ===
চতুর্দশ শতাব্দীর শেষের দিকে, কানটো অঞ্চলটি শক্তিশালী যোদ্ধা পরিবারগুলোর দ্বারা আধিপত্য ছিল। এর মধ্যে উসুগিরা ছিল সবচেয়ে শক্তিশালী। তারা তাদের নিজস্ব স্বার্থ এগিয়ে নেওয়ার জন্য এই অঞ্চলের পরিবারগুলোর মধ্যে ছড়িয়ে পড়া লড়াইয়ের সুযোগ নিতে সক্ষম হয়েছিল। ১৩৬৮ সালে উৎসুনোমিয়া পরিবার মুরোমাচি শাসনের কামাকুরা সদর দফতরের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছিল। কারণ তারা উয়েসুগির কাছে তাদের শুগো পোস্ট হারিয়েছিল। উসুগি পরিবার তাদের এখতিয়ারের অধীনে শুগো পোস্ট সংগ্রহ করে এবং অন্যান্য পরিবারের ব্যয়ে কান্টো অঞ্চলে করদ রাজ্যগুলোর ঘিরে ফেলে তাদের প্রভাব প্রসারিত করতে সক্ষম হয়েছিল (হ্যারিংটন ১৯৮৫: ৮২-৩)। কেউ একটি তত্ত্ব এগিয়ে নিতে পারে যে কান্টো অঞ্চলটি কিয়োতো থেকে আধা-স্বাধীন হয়ে উঠেছে এবং উসুগি সমর্থনের কারণে মুরোমাচি শাসনের কামাকুরা সদর দফতর বিদ্যমান ছিল। উয়েসুগি পরিবার তাদের অনাকাঙ্ক্ষিত অবস্থানের কারণে কান্টো কানরেই পদে তাদের নিয়োগের মাধ্যমে মুরোমাচি সরকার কর্তৃক আইনত স্বীকৃত হয়েছিল।
মুরোমাচি শাসনের কামাকুরা সদর দফতর কিউশু ডেপুটি (তান্দাই) এর মতোই কাজ করেছিল: এটি আঞ্চলিক মধ্যস্থতাকারী অফিসে পরিণত হয়েছিল যার মাধ্যমে শাসনের আদেশ বহির্মুখী কানটো অঞ্চলে প্রেরণ করা হয়েছিল। উপরে দেখা বাস্তবে কান্টো উসুগির মতো শক্তিশালী পরিবার দ্বারা আধিপত্য ছিল। ক্রমবর্ধমানভাবে, কামাকুরা সদর দফতর মুরোমাচি শাসন থেকে স্বাধীন হয়ে ওঠে এবং সমস্ত প্রয়োজনীয় উদ্দেশ্যে আঞ্চলিক বিরোধ, আঞ্চলিক কর আরোপের যত্ন নেয় এবং কিয়োতোর মুরোমাচি সরকারের ন্যূনতম উল্লেখ সহ কান্টোতে শুগো প্রভুদের সাথে সম্পর্ক গড়ে তোলে - যদিও জায়গীর নিশ্চিত করার অধিকার এবং শুগো নিয়োগ অনুমোদনের অধিকার প্রযুক্তিগতভাবে কিয়োতোর হাতে রয়ে গেছে (হ্যারিংটন ১৯৮৫: ৮৩-৫)।
=== আশিকাগা শক্তির কেন্দ্রীকরণ এবং নানবোকু-চো যুদ্ধের সমাপ্তি: ১৩৭৯–১৩৯৯ ===
১৩৬০-এর দশকের গুরুত্বপূর্ণ দশকে একের পর এক প্রতিরোধের ক্ষেত্র মুরোমাচি শাসনের হাতে পড়েছিল: স্পষ্টতই, ওচি এবং ইয়ামানার মতো শক্তিশালী শুগো প্রভুরা নিজেদেরকে আধা-স্বাধীন প্রভু হিসাবে জমা দিয়েছিলেন; সময় যত গড়িয়েছে ততই দক্ষিণ দরবারের প্রতিরোধ আরও নিরর্থক হয়ে উঠেছে। সামরিকভাবে শাসনব্যবস্থা ১৩৬৬৬৬৬৬ সালে শুগো প্রভুদের তাদের নিজস্ব সহকর্মীদের একজনকে আক্রমণ করার আহ্বান জানাতে সক্ষম হয়েছিল, শোগুনাল নিয়ন্ত্রণে শুগোর ক্রমবর্ধমান অধীনতার দিকে ইঙ্গিত করে। কানরেই কাউন্সিল সিস্টেম তৈরি এবং বাকুফু আমলাতন্ত্রে শক্তিশালী শুগো পরিবারগুলোর ক্রমবর্ধমান অংশগ্রহণের সাথে হাত মিলিয়ে রাজকীয় দরবারের সাথে সম্পর্ক শাসনের বৈধ ভিত্তিকে আরও প্রশস্ত করেছিল। এই মূল বিকাশগুলো কেবল শোগুনাল নিয়ন্ত্রণ বাড়ানোর জন্যই নয়, শুগো প্রভু এবং অভিজাতদের স্বার্থকে শাসনের সাথে আরও ঘনিষ্ঠভাবে আবদ্ধ করার জন্য ব্যবহৃত হয়েছিল। [১৮] তবে ভৌগোলিকভাবে, মুরোমাচি শাসনের পরিধি সীমিত ছিল, কানটো এবং কিউশু অঞ্চলের এখতিয়ার আঞ্চলিক প্রতিনিধিদের কাছে অর্পণ করে এবং হনশুর কেন্দ্রীয় ও পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশগুলোর উপর কমবেশি সরাসরি নিয়ন্ত্রণ রেখেছিল।
১৩৭৯ সালে যোশিমিতসুর কর্তৃত্ব গ্রহণের পঞ্চাশ বছর পর মুরোমাচি শাসন দেশের অপ্রতিদ্বন্দ্বী সরকার হিসাবে তার সবচেয়ে শক্তিশালী পর্যায়ে প্রবেশ করেছিল। শোগুনের নিয়ন্ত্রণ বাড়ার সাথে সাথে শোগুন এবং শুগো প্রভুদের মধ্যে সংযোগ আরও শক্ত হয়েছিল। প্রধান যন্ত্র এবং তাদের প্রভাবগুলো যা শোগুনকে শুগো প্রভুদের উপর নিয়ন্ত্রণ প্রয়োগ করতে এবং জড়িত শাসনের বৈধতার ভিত্তিকে প্রশস্ত করতে সক্ষম করেছিল: ১) মুরোমাচি শাসন এবং রাজকীয় দরবারের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের ধারাবাহিকতা; ২) শুগো প্রভুদের লক্ষ্য করে বাধ্যতামূলক আবাসিক নীতি; ৩) শোগুণাল আর্মির (গোবাঁশু) অধিকতর উন্নয়ন; ৪) বেশ কয়েকটি শুগো প্রভুর জোট ব্যবহার করে শোগুনাল আধিপত্যের উত্থান। ৫) শাসকগোষ্ঠী কর্তৃক বাণিজ্যিক ও কৃষি রাজস্ব এবং করের ব্যবহার। এই সমস্ত পরিবর্তনগুলো কেন্দ্রীভূত শক্তির অব্যাহত প্রবণতার উদাহরণ দেয় যা শাসনের শক্তি বৃদ্ধি করেছিল। আশিকাগা এবং সাম্রাজ্যীয় দরবার
অধীনে যোশিমিতসু (সক্রিয় ১৩৭৯–১৪০৮) যিনি ইয়োরিয়ুকিকে বরখাস্ত করার পরে ক্ষমতার লাগাম ধরেছিলেন কানরেই, এই বিশেষ সংযোগের প্রভাবগুলো জাপানি ইতিহাসের অন্যতম উজ্জ্বল সময়কে উত্সাহিত করেছিল, স্থাপত্য ও সাংস্কৃতিক ফর্মগুলোর পরিপক্কতার জন্য বিখ্যাত যা তখন থেকে জাপানি সংস্কৃতির বৈশিষ্ট্যযুক্ত। রাজদরবার এবং এর সংস্কৃতির সাথে তাঁর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক এবং নতুন শিল্পের প্রতি তাঁর পৃষ্ঠপোষকতা সামরিক অভিজাতদের কাছে বিশেষত শুগো প্রভুদের মাধ্যমে এই সংস্কৃতি ছড়িয়ে দিতে সহায়তা করেছিল (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ৩১-৩২; গ্রসবার্গ ১৯৮১: ৩১-৩২)। কাওয়াই ১৯৭৭: ৭২)। শোগুন এবং রাজকীয় দরবারের মধ্যে এই সংযোগ উভয় প্রতিষ্ঠানে অতিরিক্ত মর্যাদা এনেছিল এবং শোগুনকে নাগরিক বৈধতা এবং সংস্কৃতির আভা দিয়েছিল যা পূর্ববর্তী কামাকুরা শাসনের অভাব ছিল।
দরবারের প্রতিষ্ঠানগুলোতে অংশ নিয়ে, শোগুন দরবারের সংস্কৃতির বেশিরভাগ পরিমার্জিত বিনোদনও গ্রহণ করেছিলেন। পূর্ব প্রাতিষ্ঠানিক সংযোগের ফলে সাংস্কৃতিক সাধনা এসেছিল। আদর্শিক ন্যায্যতার সাথে সংস্কৃতির আরও মিল রয়েছে: যেমনটি আমরা আগের বিভাগে দেখেছি, দরবারের সংস্কৃতির বেশিরভাগ অংশ যোদ্ধাদের কাছে অস্বীকার করা বৈধতা উপভোগ করেছিল।
=== বলপ্রয়োগের একচেটিয়া: বাধ্যতামূলক বাসস্থান ===
শোগুন-শুগো সম্পর্কের দিকে অগ্রসর হয়ে, ১৩৮০-এর দশকে কানরেই কাউন্সিল ব্যবস্থাটি যোশিমিতসু দ্বারা শক্তিশালী করা হয়েছিল যখন তিনি পশ্চিম ও মধ্য শুগো প্রভুদের কিয়োতোতে বাসস্থান নিতে রাজি করেছিলেন। এমনকি তিনি ১৩৮৯ সালে ওউচি ইয়োশিহিরোর সাথে দেখা করতে গিয়েছিলেন এবং তার তথাকথিত তীর্থযাত্রার সময় তাকে কিয়োতোতে বাস করতে রাজি করান। এই সার্কিটগুলো তিনি যে প্রদেশগুলোতে ভ্রমণ করেছিলেন সেগুলোর মাধ্যমে তাঁর শক্তি প্রদর্শন করতে ব্যবহৃত হয়েছিল (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ২৯-৩০)। যোশিমিতসু যে বাধ্যতামূলক আবাসিক নীতি চালু করেছিলেন তা ছিল প্রধান জবরদস্তিমূলক নীতি যা কানরেই কাউন্সিল ব্যবস্থাকে সহায়তা করেছিল এবং শোগুনকে শুগো প্রভুদের চারপাশে তার খপ্পর শক্ত করতে সক্ষম করেছিল। রাজধানী শহর ছেড়ে যাওয়ার অনুমতি খুব কমই শুগো প্রভুকে দেওয়া হয়েছিল: এটি কেবল সিনিয়র করদ রাজ্য কাউন্সিলে আলোচনার পরে মঞ্জুর করা হয়েছিল। এমনকি প্রাদেশিক বিদ্রোহ বা দক্ষিণ দরবারের গেরিলা কার্যকলাপের ক্ষেত্রে অনুমতি দেওয়া হলেও, উপযুক্ত জিম্মিদের কিয়োতোতে রেখে দেওয়া হয়েছিল। যদি শুগো প্রভু অনুমতি ছাড়াই চলে যান তবে এটি রাষ্ট্রদ্রোহের সমতুল্য হিসাবে দেখা হত (কাওয়াই ১৯৭৭: ৬৮-৯; তনুমা ১৯৭৬: ১৩)।
কান্তো এবং কিউশু শুগোকে কিয়োতোতে বাধ্যতামূলক বসবাসের এই আদেশ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল। যাইহোক, মুরোমাচি শাসনের কামাকুরা সদর দফতর কান্টো শুগো প্রভুদের ক্ষেত্রে অনুরূপ নীতি প্রবর্তন করেছিল এবং তাদের কামাকুরায় প্রাসাদ প্রতিষ্ঠা করতে বাধ্য করেছিল যেমন পশ্চিম ও কেন্দ্রীয় শুগো প্রভুরা কিয়োতোতে প্রাসাদ তৈরি করেছিল (কাওয়াই ১৯৭৭: ৬৮)। কিয়োতোতে ম্যানশন বিল্ডিং ফ্যাশনেবল হয়ে ওঠে এবং শেষ পর্যন্ত কিউশুর শিমাজুর মতো শুগো প্রভুদের অন্তর্ভুক্ত করে, যিনি কিয়োতোতে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যদিও তার এটি করার প্রয়োজন ছিল না। শুগো প্রভুদের সত্যিই এই বিষয়ে খুব কম পছন্দ ছিল। তারা হয় কিয়োতোতে বাস করত অথবা শাসকগোষ্ঠীর বিশ্বাসঘাতক হিসাবে চিহ্নিত হয়েছিল। কানরেই কাউন্সিল সিস্টেমের মতো প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি, বাধ্যতামূলক আবাসিক নীতির জাতীয় দৃষ্টিকোণ থেকে এবং প্রাদেশিক দৃষ্টিকোণ থেকে উভয়ই অগণনীয় প্রভাব ছিল। প্রারম্ভিকদের জন্য, শুগো প্রভুদের শক্তি এই নীতি দ্বারা মারাত্মকভাবে সীমাবদ্ধ ছিল: তাদের চলাচলের স্বাধীনতা অবরুদ্ধ করা হয়েছিল। দ্বিতীয়ত, পঞ্চদশ শতাব্দীর দ্বিতীয় চতুর্থাংশে সময় অতিবাহিত হওয়ার সাথে সাথে প্রদেশগুলোতে প্রকৃত শক্তি শুগো প্রভুদের কাছ থেকে দূরে সরে যায় এবং ডেপুটি শুগো (শুগো-দাই) এবং প্রদেশগুলোতে বসবাসকারী অন্যান্য স্বাধীন সামুরাই (কোকুজিন) এর উপর বিশ্রাম নেয়। সুতরাং, শুগো প্রভুদের দৃষ্টিকোণ থেকে বাধ্যতামূলক আবাসিক নীতি দীর্ঘমেয়াদী বিপর্যয় হিসাবে প্রমাণিত হয়েছিল (কাওয়াই ১৯৭৭: ৭৩)। ডেপুটি শুগোর নিয়োগের প্রয়োজন ছিল বাধ্যতামূলক আবাসিক নীতি যদি শুগো প্রভুরা প্রদেশগুলোতে তাদের ক্ষমতা বজায় রাখতে চায়। স্বল্পমেয়াদে, শাখা পরিবারের সদস্যদের এবং সামুরাই কোকুজিনকে ডেপুটি শুগো হিসাবে নিয়োগ দেওয়া এবং প্রদেশগুলোতে তাদের নিজস্ব প্রতিনিধি হিসাবে ব্যবহার করা ভাল কাজ করেছিল; কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে, শুগো প্রভুদের হাত থেকে ক্ষমতা তাদের ভাড়া করা লোকদের হাতে চলে যায়।
=== শোগুনাল আর্মি ===
ইয়োশিমিতসু সামরিক শক্তি প্রয়োগ করে শুগো প্রভুদের আনুগত্যে নামিয়ে আনতে দ্বিধা করেননি এই অজুহাতে যে তারা খুব শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। তিনি তাঁর উপর নির্ভরশীল প্রায় তিন হাজার যোদ্ধা নিয়ে পাঁচটি বিভাগ নিয়ে গঠিত একটি নতুন শোগুনাল সেনাবাহিনী (গোবাঁশু) একত্রিত করেছিলেন (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ১০৬-৭)। এই বাহিনীটি একটি শক্তিশালী অ্যারে ছিল, বিশেষত যখন তারা অন্যান্য শুগো প্রভুদের অবদানের দ্বারা বৃদ্ধি পেয়েছিল। শোগুনাল সেনাবাহিনীর গুরুত্ব পরিমাণের বাইরে চলে যায়। তবে এই বাহিনীটি যা প্রতিনিধিত্ব করে তার উপর আরও আঘাত করে: কোকুজিন সামুরাই দ্বারা গঠিত তার নিজস্ব করদ রাজ্যগুলোর সাথে শোগুনকে সরাসরি সংযুক্ত করে একটি পৃথক বাহিনী। শোগুনাল সেনাবাহিনী শুগো বাহিনীর উপর নজরদারি হিসাবে কাজ করেছিল। দ্বিতীয় অধ্যায়ে আমরা দেখেছি, প্রথম আশিকাগা শোগুন, তাকাউজি, সামুরাই স্টুয়ার্ডদের সাথে এস্টেটের জমিতে আবদ্ধ করে তাদের সাথে সম্পর্ক তৈরি করেছিল। প্রারম্ভিক মুরোমাচি সময়কালে, শোগুনের কমান্ডের অধীনে এই পৃথক করদ রাজ্য শ্রেণিবিন্যাস শুগো শক্তির উপর একটি গুরুত্বপূর্ণ চেক ছিল। আমরা দেখব এই পূর্ববর্তী সেনাবাহিনী যোশিমিতসুর শোগুনাল সেনাবাহিনী থেকে কীভাবে আলাদা ছিল।
শোগুনাল সেনাবাহিনীর দুটি উপাদান ছিল: শোগুনাল দেহরক্ষী (শিনইগুন) আশিকাগা শাখা পরিবারের সদস্য, শুগো আত্মীয় এবং শুগো শাখার পরিবারের সদস্য, শাসক কর্মকর্তাদের অন্যান্য পুত্র ও ভাই এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণভাবে, শক্তিশালী কোকুজিন নিয়ে গঠিত। সংখ্যায় (বড়জোর সাড়ে তিনশো পুরুষ), এই দলটি একটি সুসংহত এবং অনুগত সংস্থা ছিল, যে কোনও মূল্যে শোগুনের ব্যক্তিকে রক্ষা করতে প্রস্তুত ছিল (আর্নেসেন ১৯৮৫: ১০২)। এই ছোট্ট ব্যান্ডের চারপাশে শোগুনের বেশ কয়েকটি প্রত্যক্ষ করদ রাজ্য ছিল যা ১৩৩৬ সালে এর উত্সটি সন্ধান করেছিল, যখন শোগুন তাকাউজি অনেক সামুরাইকে বাড়ির করদ রাজ্য হিসাবে ঘিরে ফেলেছিল যারা সম্ভবত রিজার্ভ সেনাবাহিনী হিসাবে ব্যবহৃত হয়েছিল (গে ১৯৮৬: ৯৫-৬); শোগুনাল দেহরক্ষীর সদস্যদের সাথে সংযুক্ত বৃহত্তর সংখ্যক পরোক্ষ করদ রাজ্য সম্ভবত যোশিমিতসুর অধীনে শোগুনাল সেনাবাহিনীর বেশিরভাগ অংশ তৈরি করেছিল। এই শেষ পয়েন্টটি আর্নেসেন দ্বারা ভালভাবে চিত্রিত হয়েছে, যিনি গণনা করেছিলেন যে শোগুনাল দেহরক্ষীতে সরাসরি করদ রাজ্যের সংখ্যা ষোড়শ শতাব্দীর শেষের দিকে হোজো বংশের অধীনে তালিকাভুক্ত প্রত্যক্ষ করদ রাজ্যের সংখ্যা ষাট থেকে সত্তর শতাংশ ছিল (১৯৮৫: ১২৬)। এবং যদি প্রয়াত হোজো ওডাওয়ারা অভিযানে পঞ্চাশ হাজার সৈন্য মাঠে নামাতে সক্ষম হত। তবে সাড়ে তিনশো শোগুনাল দেহরক্ষী সহজেই তাদের নিজস্ব করদ রাজ্যগুলোর একত্রিত করতে পারত যা গ্রসবার্গ দাবি করেছেন যে তিন হাজার সৈন্য নিয়ে এসেছিল যা গ্রসবার্গ দাবি করেছিলেন যে ১৩৯১ এর মেইটোকু রাইজিং (১৯৮১: ১০৭)। শোগুনাল দেহরক্ষীর সৃষ্টি এবং অন্যান্য শোগুনাল করদ রাজ্যগুলোর উপর এই গোষ্ঠীর কেন্দ্রীয় অবস্থানই যোশিমিতসুর শোগুনাল সেনাবাহিনীকে তাকাউজির শোগুনাল করদ রাজ্য থেকে পৃথক করে। নতুন শোগুনাল সেনাবাহিনীর সাথে একটি শক্ত সংগঠন এবং এসপ্রিট ডি কর্পস আবির্ভূত হয়েছিল।
=== শক্তিশালী শুগোকে পরাজিত করতে শুগো জোটের উসকো ===
তবে যুদ্ধের ময়দানে কানরেই শ্রেণির শুগো প্রভুদের সাথে দেখা করতে এবং পরাজিত করার জন্য একা শোগুনাল সেনাবাহিনী পর্যাপ্ত ছিল না। তবে যোশিমিতসু যে ধরণের যুদ্ধ অনুশীলন করেছিলেন তার জন্য পুরোপুরি উপযুক্ত ছিল: একজন শুগো প্রভুকে পরিবারের সদস্যের বিরুদ্ধে এবং অন্যান্য শুগো প্রভুদের বিরুদ্ধে দাঁড় করানো। পূর্ববর্তী শোগুনের অধীনে উত্থিত নতুন শোগুনাল আধিপত্য, যোশিয়াকিরা, যোশিমিতসুর রাজনীতিতে আধিপত্য বিস্তার করতে এসেছিল। শোগুনাল প্রতিপত্তি অনানুষ্ঠানিকভাবে নির্দেশ দিয়েছিল যে কোনও একক শুগো প্রভু শোগুনের ক্রোধের শিকার না হয়ে ক্ষমতার একটি নির্দিষ্ট স্তর অতিক্রম করবেন না। এটি শুগো প্রভুদের নিজেদের স্বার্থেই ছিল যে তাদের নিজস্ব সহকর্মীদের কেউই বাকিদের উপর খুব বেশি শক্তিশালী এবং প্রভাবশালী হয়ে উঠবে না (ভার্লি ১৯৬৭: ৬৩-৬৪)।
এই নীতি অনুসরণ করে ১৩৮৯ সালে যোশিমিতসু মিনো, আইসে এবং ওওয়ারি প্রদেশের শুগো প্রভু টোকি ইয়াসুয়ুকিকে পরবর্তী প্রদেশটি এক আত্মীয়ের কাছে ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। ইয়াসুয়ুকি প্রত্যাখ্যান করেছিলেন এবং যোশিমিতসু ইয়াসুয়ুকির চাচাতো ভাই ইয়োরিমাসুকে তাকে আক্রমণ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। তিন বছর পরে ইয়াসুয়ুকি পরাজিত হন এবং ১৩৯১ সালে মিনো প্রদেশটি টোকি ইয়োরিমাসুকে ছেড়ে দেন (পাপিনোট ১৯৭২: ৬৫৯)। ইয়োশিমিতসুর কাছে যে প্রদেশটি ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল তা মিনো বা ওওয়ারি ছিল কিনা তা বিবেচ্য ছিল না যতক্ষণ না টোকি ইয়াসুয়ুকি কেন্দ্রীয় প্রদেশগুলোতে তার কিছু ক্ষমতা ছিনিয়ে নিয়েছিল।
১৩৯১ সালে মেইতোকু রাইজিং (রান) এর আগে, ইয়ামানা পরিবারের পশ্চিম ও মধ্য জাপানের এগারোটি প্রদেশ ছিল। এটি তাদেরকে দেশের সবচেয়ে শক্তিশালী শুগো পরিবারে পরিণত করেছিল। যোশিমিতসু তাদের আক্রমণ করার জন্য একটি অজুহাত খুঁজছিলেন। যখন ইয়ামানা মিতসুয়ুকি (যিনি ইজুমো, তাম্বা, হোকি এবং ওকি প্রদেশগুলোর উপর শুগো ছিলেন) ইজুমোতে রাজকীয় পরিবারের কিছু সম্পত্তি দখল করেছিলেন, যোশিমিতসু মিতসুয়ুকির বিরুদ্ধে অভিযানের পরিকল্পনা করার জন্য প্রাক্তন-কানরেই হোসোকাওয়া ইয়োরিয়ুকিকে স্মরণ করেছিলেন (পাপিনোট ১৯৭২: ৭৪৪)। ইয়ামানা শুগো প্রভু মিতসুয়ুকি এবং উজিকিও কিয়োতো আক্রমণ করেছিলেন, কিন্তু ওউচি যোশিহিরোর বাহিনীর সাথে কনসার্টে শোগুনাল সেনাবাহিনীর কাছে মারাত্মকভাবে পরাজিত হয়েছিলেন (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ৩০,১০৭; গ্রসবার্গ ১৯৮১: ৩০,১০৭; গ্রসবার্গ ১৯৮১: ৩০,১০৭)। আর্নেসেন ১৯৭৯: ৮২)। শোগুনের বাহিনী গঠিত অন্যান্য শুগো দলগুলোর প্রত্যেকের সংখ্যা তিন শতাধিক ঘোড়সওয়ারের বেশি ছিল না (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ১০৭)। অভিযানের পর ইয়ামানাকে কেবল দুটি প্রদেশ বরাদ্দ করা হয়েছিল, তাজিমা এবং হকি, এবং বিদ্রোহের নেতাদের হত্যা করা হয়েছিল, যুদ্ধে উজিকিও এবং ১৩৯৫ সালে হত্যার মাধ্যমে মিতসুইউকি (পাপিনোট ১৯৭২: ৭৪৪)। ১৩৯৯ সালে এক শুগো প্রভুর বিরুদ্ধে আরেক শুগো লর্ডের এই দাঁড় তুঙ্গে ওঠে। হাস্যকরভাবে, এবার লক্ষ্যবস্তু ছিল ওউচি ইয়োশিহিরো, যিনি ইয়ামানার বিরুদ্ধে প্রচারণায় শাসকদের ভালভাবে সেবা করেছিলেন। যোশিহিরোকে ১৩৯৭ সালে শোনি আক্রমণ করার আদেশ দেওয়া হয়েছিল যা তিনি করেছিলেন, প্রক্রিয়াটিতে তার ভাইকে হারিয়েছিলেন। পরে তিনি যোশিমিতসুর বাইজেন্টাইন দ্বিচারিতা সম্পর্কে শিখেছিলেন: শোনিকেও ওচি আক্রমণ করার আদেশ দেওয়া হয়েছিল। এই দ্বিচারিতায় ক্ষুব্ধ হয়ে এবং শোগুন যখন তাকে কিয়োতোতে ডেকে পাঠায় তখন তার জীবনের ভয়ে তিনি অবাধ্য হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ৩২)। অবাক হওয়ার কিছু নেই যে, শাসকগোষ্ঠী তাকে শত্রু ঘোষণা করেছিল। এ সাকাইয়ের যুদ্ধ, যোশিমিতসু পাঁচটি শুগো প্রভুর বাহিনী, হোসোকাওয়া, আকামাতসু, কিয়োগোকু, শিবা এবং হাতাকিয়ামার বাহিনী সহ শহরে আগুন লাগিয়ে যোশিহিরোর প্রতিরক্ষামূলক কাজগুলোকে অভিভূত করেছিল (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ৩৩; গ্রসবার্গ ১৯৮১: ৩৩)। সানসোম ১৯৬১: ১৪৯)। যোশিমিতসুর নেতৃত্বে মিত্র বাহিনী ওচির ৫,০০০ যোদ্ধার বিপরীতে ৩০,০০০ যোদ্ধা ছিল: যোশিহিরো কেবল যুদ্ধে অভিভূত হয়েছিলেন যেখানে তিনি আত্মহত্যা করেছিলেন (আর্নেসেন ১৯৭৯: ৮২,৮৬)। এই পূর্ববর্তী প্রতিটি উদাহরণ যেমন ব্যাখ্যা করে, শোগুনাল আধিপত্য খুব কার্যকর হয়ে ওঠে। এটি শুগো প্রভুদের সহকর্মীদের আক্রমণ ও ধ্বংস করে বিভক্ত করার জন্য ব্যবহৃত হয়েছিল। শোগুনাল আধিপত্য শোগুনাল সেনাবাহিনীর সাথে তাদের বাহিনীকে একত্রিত করতে শুগো প্রভুদের সহযোগিতা ছাড়া সফল হত না। তবে শোগুনাল সেনাবাহিনী এবং শাসকগোষ্ঠীর অন্যান্য ব্যয় নির্বাহের জন্য অর্থ না থাকলে এই জবরদস্তিমূলক নীতি অকল্পনীয় ছিল।
=== রাজস্ব ===
চতুর্দশ এবং পঞ্চদশ শতাব্দীর শেষের দিকে কিয়োতো অর্থনৈতিক কার্যকলাপের জন্য একটি উজ্জ্বল কেন্দ্র ছিল। শোগুন যোশিমিতসুর অধীনে উদ্ভূত বাধ্যতামূলক আবাসিক নীতির সাথে, শুগো প্রভুরা তাদের করদ রাজ্য এবং চাকরদের সাথে শহরের বিশিষ্ট জনগোষ্ঠীতে যুক্ত হয়েছিল যার মধ্যে অভিজাত, রাজকীয় দরবার এবং মুরোমাচি সরকার অন্তর্ভুক্ত ছিল। এটি বিভিন্ন পণ্য ও পরিষেবাদির জন্য একটি বিশাল বাজারে অনুবাদ করেছিল যা শহরের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে উত্সাহিত করেছিল। রাজধানীতে বসবাসকারী শোগুন এবং শুগো প্রভু উভয়ের জন্যই এই বৃদ্ধি গুরুত্বপূর্ণ ছিল: তারা ধারাবাহিকভাবে মহাজনদের সম্পদ (সাকায়া-দোসো) ব্যবহার করেছিল। শোগুন এমনকি তাদের শহরে কর আদায়কারী হিসাবে নিয়োগ করেছিল (কাওয়াই ১৯৭৭: ৭১; গ্রসবার্গ ১৯৮১: ৩৭,৭৮-৮০)। পূর্ববর্তী কামাকুরা শাসন থেকে মুরোমাচি শাসনকে এত আলাদা করে তুলেছিল তার আয়ের ভিত্তি। এর বেশিরভাগ রাজস্ব তার জমি বেস ছাড়াও বাণিজ্যিক কর থেকে এসেছিল।
প্রশাসন বোর্ড (ম্যান্ডোকোরো) মুরোমাচি শাসনের রাজস্ব সম্পর্কিত বিষয়গুলোর জন্য ক্লিয়ারিং হাউস হিসাবে ব্যবহৃত হত। এটি প্রধান আমলাতান্ত্রিক অঙ্গ ছিল যা করের উদ্দেশ্যে শহরের বিভিন্ন বাণিজ্যিক গোষ্ঠীর সাথে শাসনকে সংযুক্ত করেছিল। ১৩৯৩ সালে শাসন সরাসরি মহাজনদের উপর কর আরোপের অধিকারকে বৈধ করে (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ৭৮,৯৫-৬)। কিয়োতোতে মূল্যায়ন করা বাণিজ্যিক করগুলো নতুন নগর ভিত্তিক মুরোমাচি শাসনের ভিত্তি হয়ে ওঠে এবং সিদ্ধান্তমূলকভাবে শাসনব্যবস্থার প্রকৃতিকে কেবলমাত্র জমিদার সম্পত্তির উপর ভিত্তি করে একটি শাসনব্যবস্থায় পরিবর্তন করে আংশিকভাবে বাণিজ্য ভিত্তিক একটি শাসনব্যবস্থায় পরিণত করে।
ঐতিহ্যবাহী কৃষিভিত্তিক রাজস্ব তিনটি প্রধান উৎস থেকে আসত: শোগুনাল এস্টেট থেকে, শোগুনাল সামন্ত থেকে এবং শুগো প্রভুদের বিরুদ্ধে নির্ধারিত কর থেকে। আশিকাগা শোগুনদের অবতরণ ঘাঁটি তাদের উত্তরসূরিদের তুলনায় নগণ্য ছিল, টোকুগাওয়া; তবে কিয়োতো এবং কান্টো অঞ্চলের মধ্যে প্রায় দুই শতাধিক শোগুনাল এস্টেট (গরিওশো) ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল এবং এই এস্টেটগুলো থেকে উত্তোলিত রাজস্ব উল্লেখযোগ্য ছিল (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ৭০-৩)। তদুপরি, শোগুনাল এস্টেট এবং শোগুনাল সেনাবাহিনীর মধ্যে সংযোগ নির্ধারক ছিল: সেনাবাহিনীতে দায়িত্ব পালনকারী কিছু পুরুষ শোগুনের ব্যক্তিগত সম্পত্তির পরিচালকও ছিলেন (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ১১২)। তদুপরি, অনেক স্থানীয় সামুরাই সরাসরি শাসনকে (কিয়োসাই) ভূমি কর প্রদান করেছিল যা তারা হাউস করদ রাজ্য (গোকেনিন) হিসাবে উপভোগ করেছিল, প্রক্রিয়াটিতে শুগো ট্যাক্স সংগ্রহকারীদের কাছ থেকে টিকা দেওয়া হয়েছিল (গ্রসবার্গ ১৯৮১; গ্রসবার্গ ১৯৮১)। উপরন্তু, শুগো প্রভুদের সরাসরি কর আদায় করা হয়েছিল (শুগো শুসেন) তারা কতগুলো প্রদেশ পরিচালনা করেছিল সে অনুসারে। যখনই কোনও বিল্ডিং তৈরি বা ঠিক করার জন্য ছিল এবং যখন শোগুনের বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য নগদ অর্থের প্রয়োজন হয়েছিল তখন শাসকরা এটি মূল্যায়ন করেছিল (কাওয়াই ১৯৭৭: ৭১; কাওয়াই ১৯৭৭: ৭১)। গ্রসবার্গ ১৯৮১: ৭৪)। কিয়োতো এবং ইয়ামাশিরো প্রদেশের উদীয়মান বাজার অর্থনীতির কারণে মুরোমাচি শাসনের রাজস্বের উত্সগুলো কামাকুরা শাসনের চেয়ে অনেক বেশি পরিমাণে বৈচিত্র্যময় ছিল। এটি মহাজনদের কাছ থেকে বাণিজ্যিক রাজস্ব আদায় হিসাবে অভিনব আকারে এসেছিল (সাকায়া দোসো): মুরোমাচি আমলাতন্ত্রের ক্ষমতা কাঠামো কার্যকরভাবে কিয়োতো শহরটি দখল করার পরে একটি কর মূল্যায়ন করা হয়েছিল।
== দক্ষিণ দরবারের সম্রাট ==
* সম্রাট গো-দাইগো「後醍醐天皇」(১২৮৮–১৩৩৯, রাজত্বকাল ১৩১৮–১৩৩৯)
* সম্রাট গো-মুরাকামি「後村上天皇」(১৩২৮–১৩৬৮, রাজত্বকাল ১৩৩৯–১৩৬৮))
* সম্রাট চোকেই「長慶天皇」((১৩৪৩–১৩৯৪, রাজত্বকাল ১৩৬৮-১৩৮৩)
* সম্রাট গো-কামেয়ামা「後亀山天皇」(১৩৪৭-১৪২৪, রাজত্বকাল ১৩৮৩-১৩৯২)
== উত্তর দরবারের সম্রাট ==
* উত্তর আশিকাগা দাবিদার ১: সম্রাট কোগন「光厳天皇」(১৩১৩–১৩৬৪, রাজত্বকাল ১৩৩১–১৩৩৩)
* উত্তর আশিকাগা দাবিদার ২: সম্রাট কোমিয়ো「光明天皇」(১৩২২–১৩৮০, রাজত্বকাল ১৩৩৬–১৩৪৮)
* উত্তর আশিকাগা দাবিদার ৩: সম্রাট সুকো「崇光天皇」(১৩৩৪–১৩৯৮, রাজত্বকাল ১৩৪৮–১৩৫১)
* অন্তর্বর্তীকাল, নভেম্বর ২৬, ১৩৫১ থেকে ২৫ সেপ্টেম্বর, ১৩৫২ পর্যন্ত
* উত্তর আশিকাগা দাবিদার ৪: সম্রাট গো-কোগন「後光厳天皇」(১৩৩৮–১৩৭৪, রাজত্বকাল ১৩৫২–১৩৭১)
* উত্তর আশিকাগা দাবিদার ৫: সম্রাট গো-এন'ইউ「後円融天皇」(১৩৫৯–১৩৯৩, রাজত্বকাল ১৩৭১–১৩৮২)
e1f7s6gfpkagbpa52cmczta7gsswno4
84433
84432
2025-06-16T18:13:00Z
NusJaS
8394
/* শুগো প্রভুদের উত্থান */
84433
wikitext
text/x-wiki
নানবোকু-চো যুগ (南北朝時代, নানবোকু-চো জিদাই) ১৩৩৬ সাল থেকে ১৩৯২ সাল পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। এটি মুরোমাচি যুগের একটি অংশ ছিল।
এই সময়ে দুটি সাম্রাজ্যীয় দরবার ছিল। এরমধ্যে কিয়োতোতে আশিকাগা তাকাউজি প্রতিষ্ঠা করেছিল উত্তর সাম্রাজ্যীয় দরবার; এবং সম্রাট গো-দাইগো ইয়োশিনোতে প্রতিষ্ঠা করেছিল ক্ষিণ সাম্রাজ্যীয় দরবার।
মতাদর্শগতভাবে, এই দুই দরবার প্রায় পঞ্চাশ বছর ধরে সংঘর্ষে লিপ্ত ছিল। তবে ১৩৯২ সালে দক্ষিণ দরবার উত্তর দরবারের কাছে আত্মসমর্পণ করে। বাস্তবে উত্তর রাজবংশ ছিল আশিকাগা শোগুনদের নিয়ন্ত্রণাধীন এবং তাদের বাস্তবিক স্বাধীনতা খুবই সীমিত ছিল।
উনবিংশ শতাব্দী থেকে শুরু করে দক্ষিণ দরবারের সম্রাটদের জাপানের বৈধ সম্রাট হিসেবে গণ্য করা হয়। এর পেছনে কিছু। কারণ ছিল—দক্ষিণ দরবারের হাতে জাপানি সম্রাজ্ঞী রাজমুকুট ও প্রতীকগুলোর নিয়ন্ত্রণ, এবং কিতাবাতাকে চিকাফুসার লেখা ''জিন্নো শোতোকি'' ছিল। এটি তাদের পরাজয়ের পরেও দক্ষিণ দরবারের বৈধতাকে সমর্থন করেছিল।
এই সময়কালের ঘটনাগুলোর প্রভাব এখনও আধুনিক জাপানের প্রচলিত দৃষ্টিভঙ্গিতে সম্রাট ব্যবস্থা (তেননো সেইকা) প্রভাবশালী হতে থাকে। রাষ্ট্রীয় শিন্তো ধর্মের প্রভাবে ১৯১১ সালের ৩ মার্চ জারিকৃত এক সাম্রাজ্যীয় ডিক্রিতে এই সময়ের বৈধ রাজাদের দক্ষিণ দরবারের সদস্য বলেই ঘোষণা করা হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর, কুমাজাওয়া হিরোমিচি থেকে শুরু করে একদল দাবিদার নিজেদের দক্ষিণ দরবার থেকে বংশোদ্ভূত দাবি করে এবং উত্তর দরবার থেকে আসা রাজবংশের আধুনিক সাম্রাজ্যীয় ধারার বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে।
১৩৩৩ সালে কামাকুরা শোগুনাতের পতন এবং ১৩৩৬ সালে কেম্মু পুনর্গঠনের ব্যর্থতা নতুন শাসনব্যবস্থার বৈধতা নিয়ে সংকট তৈরি করে। পাশাপাশি, অভিজাত এবং যোদ্ধাদের আয়ের ভিত্তি জমিদারি ব্যবস্থায় (শোয়েন) কাঠামোগত পরিবর্তন সমাজের বিভিন্ন শ্রেণির অবস্থান পরিবর্তনে বড় ভূমিকা রাখে। নানবোকু-চো যুদ্ধের মধ্য দিয়ে যে মুরোমাচি শাসন ব্যবস্থা উদ্ভূত হয়, তা যোদ্ধা শ্রেণির অর্থনৈতিক ভিত্তিকে প্রসারিত করে। তবে অভিজাত মালিকদের ক্ষমতা হ্রাস করে। এটি কামাকুরা বাকুফুর সময় থেকেই শুরু হয়েছিল।
== কামাকুরা বাকুফুর পতন ==
গৃহযুদ্ধের সূচনায় অবদান রাখা প্রধান। কারণ ছিল—হোজো পরিবার ও অন্যান্য যোদ্ধা গোষ্ঠীর মধ্যে ক্রমবর্ধমান বিরোধ। এটি ১২৭৪ এবং ১২৮১ সালের মঙ্গোল আক্রমণের পর থেকে বৃদ্ধি পায়। এছাড়াও আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ছিল কেম্মু পুনর্গঠনের ব্যর্থতা। এটি সম্রাট-অনুগামী ও আশিকাগা গোষ্ঠীর সমর্থকদের মধ্যে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করে।
১৩শ শতাব্দীর শেষদিকে হোজো-নেতৃত্বাধীন কামাকুরা শাসনের প্রতি যোদ্ধাদের মধ্যে অসন্তোষ বৃদ্ধি পায়। এই অসন্তোষের মূল। কারণ ছিল, হোজোদের অন্যান্য যোদ্ধা পরিবারগুলোর ওপর ক্রমবর্ধমান আধিপত্য বিস্তার। বিশেষ করে হোজো তোকিমুনের (১২৬৮–১২৮৪) শাসনকালে মঙ্গোল সংকটের সময় এই কেন্দ্রীয়করণ আরও প্রকট হয়। সে সময়ে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটে: হোজো পরিবারে রাজ্য পরিষদে নিয়োগ বৃদ্ধি পায়; হোজোদের ব্যক্তিগত পারিবারিক পরিষদই প্রধান সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী সংস্থা হয়ে ওঠে; এবং হোজোর সরাসরি অধীনস্থ করদ রাজ্যগুলো ক্রমবর্ধমানভাবে শুগো (প্রাদেশিক গভর্নর) হিসেবে উন্নীত করা হয়। এর ফলে তারা কেবলমাত্র নিজেদের পরিবারের সদস্য ও সরাসরি অধীনস্ত করদ রাজ্যগুলোর অন্তর্ভুক্ত করার ফলে বৃহত্তর ভিত্তির সমর্থন হারায়। ১৩৩১ সালে হোজোর বিরুদ্ধে এক জোট গঠিত হলে তার শাসনব্যবস্থার পতন ঘটাতে মাত্র দুই বছর সময় লেগেছিল।
ত্রয়োদশ শতাব্দীর শেষের দিকে যোদ্ধাদের মধ্যে হোজো-নেতৃত্বাধীন কামাকুরা শাসনের প্রতি অসন্তোষ দেখা দেয়। এই বিরক্তি শাসনের মধ্যে অন্যান্য যোদ্ধা পরিবারের উপর হোজোর প্রভাবের কারণে ঘটেছিল। হোজো টোকিমুনের রাজত্বকালে (১২৬৮-১২৮৪ খ্রিষ্টাব্দ) ক্ষমতার এই কেন্দ্রীকরণের পেছনে মঙ্গোল আক্রমণ মূল। কারণ ছিল। সঙ্কটের সময়, তিনটি জিনিস ঘটেছিল: হোজো পরিবারের কাউন্সিল অফ স্টেটে নিয়োগ বেড়েছে; হোজো প্রাইভেট ফ্যামিলি কাউন্সিল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী সংস্থা হয়ে ওঠে। হোজোর সরাসরি শুগো পোস্টে উন্নীত হয়েছিল। তারা মূলত সমর্থনের বিস্তৃত ভিত্তির ব্যয়ে কেবল হোজো পরিবারের সদস্য এবং সরাসরি অন্তর্ভুক্ত করে তাদের নির্বাচনী এলাকাগুলোকে সংকীর্ণ করেছিল। ১৩৩১ সালে যখন হোজোর বিরুদ্ধে একটি জোট গঠিত হয়,
তখন কৃষিভিত্তিক সমাজে সম্পদের মূল উৎস ছিল জমি, এবং মধ্যযুগীয় জাপানেও এর ব্যতিক্রম ছিল না। প্রকৃতপক্ষে, যোদ্ধা শ্রেণির মধ্যে বেশিরভাগ অসন্তোষের মূল। কারণ ছিল জমি। মিনামোতো গোষ্ঠীর উত্থানের পর থেকে যুদ্ধজয়ের পুরস্কার হিসেবে ভূমি দান ছিল যোদ্ধাদের জন্য একটি স্বীকৃত প্রথা। কিন্তু মঙ্গোল আক্রমণ ছিল ব্যতিক্রম,। কারণ এটি বিদেশী শত্রুর বিরুদ্ধে দেশরক্ষার যুদ্ধ ছিল, অন্য কোনও যোদ্ধা গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে নয়। ফলে বিদেশী শত্রুর পরাজয়ের পরে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার হিসেবে তুলে দেওয়ার মতো কোনও জমি ছিল না। এই পরিস্থিতি বিশেষভাবে কঠিন ছিল সেই যোদ্ধাদের জন্য, যারা বীরত্বের সাথে যুদ্ধ করেছিল এবং জমির জন্য হোজো শাসকদের কাছে আবেদন করেছিল। চতুর্দশ শতাব্দীর শুরুতেই এই অসন্তোষ নতুন যে কোনও শাসন ব্যবস্থার ওপর প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি করেছিল। এই শ্রেণিকে সন্তুষ্ট না করতে পারলে নতুন শাসনের স্থায়িত্ব ছিল অনিশ্চিত।
নানবোকু-চো যুদ্ধ ছিল একটি মতাদর্শগত লড়াই—একদিকে ছিল যারা সম্রাটের পুনঃস্থাপন চেয়েছিল, অন্যদিকে ছিল যারা কামাকুরা শাসনের আদলে একটি নতুন যোদ্ধা শাসন প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিল। যেন জাপানের ইতিহাসের পূর্ববর্তী হেইয়ান ও কামাকুরা যুগের মধ্যে মতাদর্শগত সংঘর্ষ ঘটছিল। কিতাবাতাকে চিকাফুসার মতো অভিজাত যোদ্ধারা বুঝতে পারতেন যে পুনর্গঠনে যোদ্ধাদের অংশগ্রহণ প্রয়োজন, তবে মতাদর্শগত স্তরে তাকাউজির সঙ্গে তার তীব্র মতভেদ ছিল, যা ভবিষ্যতের নেতৃত্বেও প্রভাব ফেলেছিল। যুদ্ধের মধ্যেই তৈরি হয় নতুন মুরোমাচি শাসন, যা কেম্মু পুনর্গঠনের ব্যর্থতার সরাসরি ফলাফল ছিল।
== অনুগত সম্পর্ক ও মুরোমাচি বাকুফুর উত্থান ==
উভয় পক্ষের মধ্যে তীব্র লড়াই প্রায় ত্রিশ বছর ধরে চলে। এর পর নতুন যোদ্ধা শাসনের সমর্থকরা আধিপত্য লাভ করে। আশিকাগা তাকাউজি ক্ষমতা কেন্দ্রীকরণের জন্য তিনটি মূল নীতি অনুসরণ করেন:
১. হানজেই বা অর্ধেক কর নীতি, যা জমিদার জমি ভাগ করে দেয়;
২. সামুরাই অনুগতদের (গোকেনিন) সঙ্গে অনুগত্য সম্পর্ক;
৩. শুগো প্রভুদের বাকুফু গভর্নর ও প্রাদেশিক সামন্ত হিসেবে ব্যবহার (এটি পরে বিস্তারিতভাবে আলোচিত)।
এই দুই কাঠামো—সামুরাই অনুগত্য ও শুগো নিয়ন্ত্রণ ১৩৫০-এর দশকে শাসন প্রতিষ্ঠার পর গড়ে ওঠে এবং শোগুনের ক্ষমতা নির্ধারণে মুখ্য ভূমিকা রাখে। প্রশাসনিক কাঠামোগুলো বোঝা কঠিন,। কারণ কান্নো বিশৃঙ্খলার পর প্রাথমিক প্রশাসনে ব্যাপক পরিবর্তন আসে। এগুলোর অধিকাংশই কিয়োতো ও ইয়ামাশিরো প্রদেশেই সীমাবদ্ধ ছিল।
=== কামাকুরা থেকে মুরোমাচি পর্যন্ত জমিদারি (শোয়েন) ব্যবস্থার বিবর্তন ===
হানজেই অর্ধ কর নীতিটি সরাসরি ও তীব্র: এটি এস্টেট জমিতে সামুরাই আক্রমণের বৈধতা স্বীকৃতি দেওয়ার একটি কঠোর নীতি ছিল। কিন্তু একই সঙ্গে এস্টেট বা জমিদারি ব্যবস্থার অস্তিত্ব রক্ষা করার নিশ্চয়তা দিয়েছিল।
এস্টেট সিস্টেম কীভাবে পরিবর্তিত হয়েছিল তা পরীক্ষা করার জন্য আমাদের প্রথমে কামাকুরা আমলের দিকে তাকাতে হবে। সামুরাই স্টুয়ার্ড (জিতো) এবং কামাকুরা শাসনের (১১৮৫-১৩৩৩ খ্রিষ্টাব্দ) মধ্যে করদ সম্পর্ক মধ্যস্থতাকারী ছিল। কারণ তারা সামুরাই স্টুয়ার্ডকে (জিতো) এমন একটি অবস্থানে রেখেছিল যেখানে তিনি একই সাথে কামাকুরা এবং কিয়োতো উভয়ের কাছেই জবাবদিহি করেছিলেন। সামুরাই হিসাবে নির্বাচিত হয়ে তাকে একটি কল্পিত আত্মীয়তার বন্ধনে তার বাড়ির সদস্য হিসাবে শোগুনের সাথে সরাসরি করদ সম্পর্কের মধ্যে রাখা হয়েছিল। স্টুয়ার্ড হিসাবে সামুরাই একজন শোগুনাল হাউসম্যান (গোকেনিন) এবং বিশ্বস্ত করদ রাজা হয়েছিলেন। তিনি এমন একটি এস্টেটের পরিচালনার ভার পেয়েছিলেন, যা আইনত কিয়োতোতে একজন আভিজাত্যের মালিকানাধীন ছিল (ভার্লি ১৯৬৭: ২২-৫)। এখানেই কামাকুরা করদ সম্পর্কের মধ্যস্থতাকারী প্রকৃতি রয়েছে। কামাকুরায় যোদ্ধা শাসনের সামন্ত হিসাবে তিনি সামরিক পরিষেবা এবং বকেয়া আকারে শোগুনের কাছে জবাবদিহি করেছিলেন। তবে একজন অভিজাতের মালিকানাধীন এস্টেটের পরিচালক হিসাবে তাকে পরবর্তীকালে খাজনা দিতে হয়েছিল। আমরা প্রথমে কামাকুরা করদ রাজ্য হিসাবে সামুরাই স্টুয়ার্ডের প্রকৃতি পরীক্ষা করব এবং তারপরে আশিকাগা তাকাউজির অধীনে উদ্ভূত করদ বন্ধনগুলো পরীক্ষা করব।
কামাকুরা শাসন ব্যবস্থার স্থায়িত্ব শাসকদের প্রভাবশালী যোদ্ধাদের পরিচালনার অধিকার (জিতো শিকি) এবং অভিজাত মালিকের খাজনা ও জমির মালিকানার অধিকারের গ্যারান্টির উপর নির্ভর করেছিল। সামুরাই স্টুয়ার্ডদের সাথে করদ সম্পর্কের মাধ্যমে, নতুন যোদ্ধা শাসনকে পুরানো এস্টেট সিস্টেমে স্থাপন করা হয়েছিল। প্রক্রিয়াটিতে আপস্টার্ট যোদ্ধা এবং অভিজাতদের মধ্যে সুপ্ত থাকা দ্বন্দ্বমূলক প্রবণতাগুলোর সেতুবন্ধন সৃষ্টি করেছিল।
যেসব সামুরাই স্টুয়ার্ডদের শোগুন বা হোজো রিজেন্টদের সাথে সরাসরি করদ সম্পর্ক ছিল, তারা হাউজকিপার (গোকেনিন) নামেও পরিচিত ছিল। কামাকুরা গোকেনিনের ঐতিহ্য একটি মর্যাদাপূর্ণ ঐতিহ্য ছিল এবং মুরোমাচি যুগে যা ঘটেছিল তার নজির স্থাপন করেছিল। ইয়োরিতোমো এবং হোজো রিজেন্টরা কেবল তাদের নিজস্ব গোকেনিনদের নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে উদ্বিগ্ন ছিল। তারা সচেতনভাবে তাদের নিজস্ব করদ রাজ্যগুলোর জমি বিরোধের মামলা শোনার মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল এবং তাদের অনুসারীদের স্টুয়ার্ডশিপ অধিকারকে পুরস্কৃত করেছিল। এটি অন্যান্য গোষ্ঠীর অন্যান্য বিরোধগুলো নাগরিক প্রশাসন দ্বারা যত্ন নেওয়া যেতে দেয়। এই নজিরটি আশিকাগা শোগুনরা অনুসরণ করেছিল।;। কারণ তারা মুরোমাচি আমলে শুগো প্রভুদের আক্রমণের বিরুদ্ধে তাদের দেশের করদ রাজ্যগুলোর স্বার্থ রক্ষার চেষ্টা করেছিল।
শুগোকে কেবল প্রদেশগুলোর প্রভু হিসাবে আরও ক্ষমতা দেওয়া হয়নি। তাকাউজি এস্টেট জমি বিভক্ত করার জন্য যে অর্ধ কর নীতি (হানজেই) ব্যবহার করেছিলেন তা সামুরাই যোদ্ধাদের মালিকানাধীন জায়গীরের সংখ্যা বহুগুণ বাড়িয়ে তুলেছিল। তবে তাকাউজি আরও এগিয়ে যেতে পারতেন যদি তিনি তাঁর বিশ্বস্ত জেনারেলদের পরামর্শ অনুসরণ করতেন। কো ভাইয়েরা সম্পত্তি পুরোপুরি সরিয়ে দিতে চেয়েছিলেন। এস্টেট সিস্টেমের পুনর্বিন্যাসে যোদ্ধাদের স্বার্থ প্রাধান্য পেয়েছিল। তবে মহৎ স্বার্থ তখনও সংরক্ষিত ছিল। এস্টেট সিস্টেম সংরক্ষণে সহায়তা করার ক্ষেত্রে, অর্ধেক করের পরিমাপ এমন একটি নীতি ছিল যা তখনও যোদ্ধার অধিকারের সাথে আভিজাত্যের অধিকারকে সংযুক্ত করতে সক্ষম হয়েছিল।
অর্ধ কর নীতি যুদ্ধের সময় সংগৃহীত সামরিক রেশন (হায়রোরিয়োশো) এর জন্য মনোনীত জরুরি কর হিসাবে শুরু হয়েছিল: মিনো, ওমি এবং ওওয়ারি প্রদেশের নির্দিষ্ট উপাসনালয়, সমাধি এবং এস্টেট জমি থেকে অর্ধেক আয় মুরোমাচি শাসনের সেনাবাহিনীকে সমর্থন করার জন্য নেওয়া হবে। ক্রমবর্ধমানভাবে, এটি পুনরায় ব্যাখ্যা করা হয়েছিল এবং তাকাউজি দ্বারা করদ রাজ্যগুলোর প্রয়োগের উদ্দেশ্যে অর্ধেক জমির স্থায়ী অধিগ্রহণ হিসাবে পরিবর্তন করা হয়েছিল। এটি ছিল পূর্ববর্তী অনুশীলন থেকে আমূল প্রস্থান। উপরে উল্লিখিত হিসাবে, কামাকুরা আমলে বেশিরভাগ জমি, বিশেষত হোনশুর কেন্দ্রীয় ও পশ্চিম প্রদেশগুলোতে, অভিজাতদের মালিকানাধীন ছিল। তবে কামাকুরা হাউস করদ রাজ্যগুলোর দ্বারা স্টুয়ার্ডশিপ (জিতো শিকি) হিসাবে পরিচালিত হয়েছিল। এটি এস্টেট প্রতিষ্ঠানে একত্রে অভিজাতদের স্বার্থ এবং যোদ্ধাদের স্বার্থ উভয়কেই একত্রিত করেছিল। অর্ধ কর ব্যবস্থার আবির্ভাবের সাথে সাথে তাকাউজি সম্পত্তির অর্ধেক জমি মহৎ নিয়ন্ত্রণ থেকে সরিয়ে তার যোদ্ধাদের জায়গীরে দিচ্ছিলেন।
=== স্থানীয় সামুরাই (কোকুজিন) এর উত্থান ===
নানবোকু-চো দ্বন্দ্ব শুরু হলে করদ সম্পর্ক আরও গুরুতর হয়ে ওঠে। সামন্তদের আনুগত্য একটি বড় বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তুলনামূলকভাবে শান্তিপূর্ণ কামাকুরা সময়কালে, সামরিক দক্ষতাগুলো প্রিমিয়ামে রাখা হয়নি। তবে গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পরে এই মানদণ্ডটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে (ভর ১৯৮৯: ১১৩-৪,১১৭)। ১৩৩৬ পরবর্তী পরিবেশের করদ সম্পর্কগুলোতে একটি নতুন মধ্যস্থতাকারী বিবেচনা উদ্ভূত হয়েছিল: আনুগত্যের প্রয়োজন এবং প্রভু এবং করদ রাজ্যের মধ্যে একটি শক্ত বন্ধন। প্রতিদ্বন্দ্বীদের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তার ফলস্বরূপ শোগুন এবং তার করদ রাজ্যগুলোর মধ্যে দৃঢ় সম্পর্ক আবির্ভূত হয়েছিল। করদ সম্পর্ক হয় আশিকাগা দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল বা আশিকাগার প্রতি অনুগত উদীয়মান শুগো প্রভুদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত অন্য যোদ্ধা শ্রেণিবিন্যাসের কাছে সম্ভাব্য যোদ্ধা হারানোর ঝুঁকি ছিল এবং সবচেয়ে খারাপ প্রতিদ্বন্দ্বী সাম্রাজ্যবাদী জেনারেলদের দ্বারা। সুতরাং, সত্যিকার অর্থে, গৃহযুদ্ধের সময়কালে যোদ্ধা নিয়োগের মাধ্যমে সম্ভাব্য দ্বন্দ্ব দূর করতে করদ বন্ধন ব্যবহার করা হয়েছিল।
একই সময়ে সামুরাই এবং শোগুনের মধ্যে করদ বন্ধন শক্ত হয়েছিল, এই সম্পর্কগুলোর বৈধতা কঠোরভাবে পরীক্ষা করা হয়েছিল। এই আপাত বৈপরীত্যটি যৌক্তিকভাবে সামুরাই আনুগত্যের অনেক দাবির অস্তিত্ব দ্বারা ব্যাখ্যা করা হয়েছে যা উপস্থাপিত হয়েছিল: প্রতিদ্বন্দ্বী সাম্রাজ্যবাদী জেনারেল, শুগো প্রভু এবং এমনকি স্থানীয় সামুরাই জোটের প্রতি।
কয়েকটি উদাহরণ শোগুন আশিকাগা তাকাউজি এবং তার নতুন গোকেনিনদের মধ্যে করদ সম্পর্কের উত্থানকে চিত্রিত করবে। ১৩৩৬ সালে তাকাউজি কিউশুতে পশ্চাদপসরণ করার পরে আকি প্রদেশে আশিকাগা স্বার্থ রক্ষার দায়িত্ব পেলে কোবায়াকাওয়া পরিবার অনুগত করদ রাজ্য হয়ে ওঠে (আর্নেসেন ১৯৮৫: ১০৮)। আরেকটি আকি সামুরাই পরিবার মোরি বংশ, ১৩৩৬ সালে তাকাউজির করদ রাজ্য হয়ে ওঠে এবং কান্নো ঘটনার প্রাদুর্ভাব না হওয়া পর্যন্ত কো মোরোয়াসুর অধীনে দায়িত্ব পালন করে। ১৩৫০ এর দশকে মোরি তাকাউজি তাদায়োশি এবং তার দত্তক পুত্র তাদাফুয়ুর শত্রুদের পক্ষে ছিল এবং ১৩৬০ এর দশক পর্যন্ত তারা আবার শোগুনের করদ রাজ্য হিসাবে ফিরে আসেনি (আর্নেসেন ১৯৮৫: ১১৪-৫)। কাওয়াশিমা বংশ এবং কিয়োতোর নিকটবর্তী অন্যান্য যোদ্ধা পরিবারগুলোর সাথে করদ সম্পর্ক ১৩৩৬ সালের গ্রীষ্মে তাকাউজি রাজধানী পুনরায় দখলের অভিযানে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তাকাউজির স্বাক্ষর বহনকারী করদের শর্তাদি সম্পর্কিত একটি নথির কারণে কাওয়াশিমা মামলাটি যথেষ্ট আগ্রহের বিষয়: তারা কাওয়াশিমা এস্টেটের অর্ধেকেরও বেশি স্টুয়ার্ডশিপ অধিকারের (জিতো শিকি) জন্য সামরিক পরিষেবা বিনিময় করবে, বাকি অর্ধেকটি ভাড়া আকারে অভিজাত মালিকের দখলে রেখে দেবে।
=== কান্নো ঘটনা এবং ১৩৫০ এর দশকে দক্ষিণ দরবারের পুনরুত্থান ===
=== ঘটনাবলী ===
তাকাউজি নামমাত্র শোগুন ছিলেন। দশ বছরেরও বেশি সময় ধরে তাদায়োশি তার জায়গায় শাসন করেছিলেন। দুই ভাইয়ের মধ্যে সম্পর্ক অবশ্য "কান্নো ঘটনা" নামে একটি অত্যন্ত গুরুতর পর্বের মাধ্যমে ধ্বংস হয়েছিল। এটি এমন একটি ঘটনা যা কান্নো যুগ (১৩৫০-১৩৫১) থেকে নামকরণ করা হয়েছে। এই সময়েই দুই ভাইয়ের মধ্যে বিভেদের ঘটনাটি ঘটেছিল। এটি পুরো দেশের জন্য খুব গুরুতর পরিণতি বয়ে আনে। তাকাউজি কো নো মোরোনাওকে তার শিটসুজি বা ডেপুটি বানানোর ফলেই দুজনের মধ্যে ঝামেলা শুরু হয়েছিল। তাদায়োশি মোরোনাওকে পছন্দ করতেন না। তাই তাকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার অন্য প্রতিটি প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়ে তাকে হত্যা করার চেষ্টা করেছিলেন। তার এই ষড়যন্ত্র ফাঁস হয়ে যায়। ফলে ১৩৪৯ সালে তাদায়োশি মোরোনাও সরকার ত্যাগ করে মাথা ন্যাড়া হয়ে কেইশিন নামে বৌদ্ধ সন্ন্যাসী হতে বাধ্য হন। ১৩৫০ সালে তিনি বিদ্রোহ করে নিজের ভাইয়ের শত্রুদের সাথে যোগ দেন। সেই শত্রুরা ছিল দক্ষিণ দরবারের সমর্থক। সম্রাট গো-মুরাকামি তাকে তার সমস্ত সৈন্যের জেনারেল নিযুক্ত করেছিলেন। ১৩৫১ সালে তিনি তাকাউজিকে পরাজিত করে কিয়োতো দখল করেকামাকুরায় প্রবেশ করেন। একই বছর তিনি মিকেজে (সেৎসু প্রদেশ) কো ভাইদের বন্দী করে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেন। পরের বছর তার ভাগ্য ঘুরে যায়। তিনি সাত্তায়ামায় তাকাউজির কাছে পরাজিত হন। ভাইদের মধ্যে একটি পুনর্মিলন সংক্ষিপ্ত প্রমাণিত হয়েছিল। তাদায়োশি কামাকুরায় পালিয়ে যান, কিন্তু তাকাউজি সেখানে সেনাবাহিনী নিয়ে তাকে তাড়া করেন। তাইহেইকি অনুসারে ১৩৫২ সালের মার্চ মাসে আপাতদৃষ্টিতে দ্বিতীয় পুনর্মিলনের অল্প সময়ের মধ্যেই তাদায়োশি হঠাৎ বিষক্রিয়ায় মারা যান।
=== পটভূমি ===
মুরোমাচি শাসনকে বিভক্ত করে এমন চরম বিভাজনকারী কান্নো ঘটনা একীকরণকে সাময়িকভাবে আটকে রেখেছিল। যেহেতু এই ঘটনাটি আমলাতান্ত্রিক অন্তর্দ্বন্দ্বের ফলস্বরূপ ঘটেছে, তাই প্রথমে আমলাতান্ত্রিক অঙ্গগুলোর দিকে নজর দেওয়া দরকার, তারপরে দ্বন্দ্বটি কোথায় উত্থিত হয়েছিল তা পরীক্ষা করা দরকার।
প্রাথমিক শাসনের আমলাতান্ত্রিক অঙ্গগুলো আশিকাগা ভাইদের পৃথক এখতিয়ারের অধীনে ছিল। তাকাউজি ও তাদায়োশি একটি দ্বিখণ্ডিত প্রশাসন তৈরি করে। তাকাউজি হাউস করদ রাজ্যগুলোর নেতা ছিলেন এবং এভাবে বোর্ড অফ রিটেইনার্স (সামুরাই ডোকোরো) এবং পুরষ্কার অফিস (ওনশো-কাটা) নিয়ন্ত্রণ করেছিলেন, যখন তাদায়োশি শাসনের বিচারিক কার্যক্রমের উপর তদন্ত বোর্ড নিয়ন্ত্রণকারী আমলাতান্ত্রিক নেতা ছিলেন (সাতো ১৯৭৭: ৪৮; সাতো ১৯৭৭:৪৮)। গ্রসবার্গ ১৯৮১: ২১-২৪)।
রিটেইনার্স বোর্ড হাউস করদ রাজ্যগুলোর প্রতি শৃঙ্খলাবদ্ধ অঙ্গ হিসাবে ব্যবহৃত হয়েছিল: ব্রিগেন্ডেজ এবং অন্যান্য অপরাধের বিচার করা হয়েছিল (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ৮৮,১০৭)। পুরষ্কারের অফিসটি যোগ্য করদ রাজ্যগুলোর দাবি শুনতে এবং বন্দী করার জন্য ব্যবহৃত হয়েছিল। পুরষ্কারের অফিসটি নতুন যোদ্ধাদের তালিকাভুক্ত করতে ব্যবহৃত হয়েছিল যারা শাসনের সম্ভাব্য প্রতিপক্ষ ছিল। প্রধান বিচারিক অঙ্গ, কোডজুটরস বোর্ড, উত্তরাধিকারের সাথে জড়িত সমস্ত জমি বিরোধ মামলা এবং ঝগড়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ৮৮)। সমস্ত বিচারিক কাজগুলো একটি প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর মধ্যে আইনীভাবে দ্বন্দ্ব এবং বিরোধ নিষ্পত্তি করার জন্য ব্যবহৃত হয়। নতুন শাসনের জন্য আমলাদের (বুগিওনিন) পতনের আগে হোজো শাসনের দায়িত্ব পালনকারীদের পদমর্যাদা থেকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ৯০)। তারা মূল্যবান ছিল। কারণ তারা পড়তে এবং লিখতে জানত, এমন একটি কাজ যা বেশিরভাগ যোদ্ধাদের নাগালের বাইরে।
১৩৫০ এর দশকে কান্নো ঘটনা এবং এর পরিণতি প্রাথমিক শাসনকে বিভক্ত এবং প্রায় ধ্বংস করে দিয়েছিল (সানসোম ১৯৬১: ৭৮-৯৫)। আপাতদৃষ্টিতে ঘটনাটি তাকাউজির ভাই আশিকাগা তাদায়োশির বিরুদ্ধে কো ভ্রাতৃদ্বয়, মোরোনাও এবং মোরোয়াসুর বিরুদ্ধে তাকাউজির সমর্থিত একটি উপদলীয় লড়াইয়ের মতো দেখায় (উইন্টারস্টিন ১৯৭৪: ২১৫; আর্নেসেন ১৯৭৯: ৫৩-৫৪)। দ্বন্দ্বটি এস্টেট সিস্টেম সম্পর্কে মতামতের পার্থক্য এবং এই ভিন্ন মতামতের পিছনে তাকাউজি ও তাদায়োশি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত বিভিন্ন আমলাতন্ত্রের দিকে ইঙ্গিত করা যেতে পারে। সামগ্রিকভাবে তাকাউজি ছিলেন উদ্ভাবক এবং তাদায়োশি রক্ষণশীলতার ভূমিকা পালন করেছিলেন। তিনি অতীতের নীতিগুলো সংরক্ষণ করতে চেয়েছিলেন। করদ রাজ্য ব্যান্ডের সামরিক নেতা হিসাবে তাঁর ক্ষমতায় তাকাউজি দুটি জিনিস করেছিলেন। এটি তাদায়োশির সাথে সাংঘর্ষিক ছিল: তিনি যুদ্ধক্ষেত্রের বীরত্বের পুরষ্কার হিসাবে শুগো পোস্টগুলোতে করদ রাজ্য নিয়োগ করেছিলেন। এর পাশাপাশি তিনি শোয়েন এস্টেটগুলো ভাগ করে দিয়েছিলেন। এর অর্ধেক তার করদ রাজ্যগুলোর ফিফ বা স্টুয়ার্ডশিপ হিসাবে দিয়েছিলেন। তাদায়োশি কেম্মু ফর্মুলারি খসড়া তৈরির মাধ্যমে এই নীতিগুলোর কঠোরভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। তিনি যুদ্ধক্ষেত্রের সেবার পুরষ্কার হিসাবে শুগোর নিয়োগের বিরোধিতা করেছিল। তিনি কোডজুটরস বোর্ডের নেতা হিসাবে তাঁর ক্ষমতায় এস্টেট জমিগুলোর যে কোনও ধরণের সরাসরি বিভাজনের বিরোধিতা করেছিলেন (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ২৩-৪)। তাকাউজি এবং তার ভাই তাদায়োশির নীতিগুলোর মধ্যে একটি স্পষ্ট বিভাজন ছিল।
দু'জন রাষ্ট্রপ্রধানের নীতি একে অপরের সাথে সাংঘর্ষিক হওয়ার ফলে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। এই ঘটনার পরের ঘটনাবলী সাক্ষ্য দেয়, শাসকগোষ্ঠী কতটা সমর্থন হারাতে শুরু করেছিল। আশিকাগা পরিবারের সদস্যদের মধ্যে গভীর বিভাজন বিরোধীদের শক্তিশালী করেছিল। মুরোমাচি শাসনের উভয় স্তম্ভ, তাকাউজি ও তাদায়োশি তাদের নিজস্ব এজেন্ডা চাপিয়ে দেওয়ার জন্য দক্ষিণ দরবারে টোকেন জমা দিয়েছিলেন: কো ভাইদের ধ্বংস করার ইচ্ছায় তাদায়োশি এবং অন্যদিকে তাদায়োশিকে পরাজিত করার আকাঙ্ক্ষায় তাকাউজি এটি করেন। হাস্যকরভাবে দক্ষিণ দরবার উভয়ের শত্রু হলেও এই দুই শাসক সদস্য একে অপরকে আক্রমণ করার ন্যায্যতা হিসাবে এটি ব্যবহার করেছিল।
=== প্রভাব ===
এই ঘটনার অন্যতম প্রধান প্রভাব ছিল দক্ষিণ দরবারের যুদ্ধের প্রচেষ্টাকে পুনরুজ্জীবিত করা। অনেকাংশে এই নতুন আক্রমণাত্মক মুরোমাচি শাসনের টার্নকোটদের দ্বারা সম্ভব হয়েছিল। কামাকুরায় তাকাউজির বিরুদ্ধে পরিচালিত ১৩৫২ সালের সাম্রাজ্যবাদী আক্রমণ তাদায়োশির প্রাক্তন অনুসারীদের বিপুল সংখ্যক দ্বারা সম্ভব হয়েছিল। তারা সাম্রাজ্যবাদী নেতা নিত্তা যোশিমুনের সমর্থক হয়েছিলেন। শুগো প্রভু ইয়ামানা টোকিউজির দলত্যাগের মাধ্যমে ১৩৫৩ সালে কিয়োতোর বিরুদ্ধে সাম্রাজ্যবাদী আক্রমণ সম্ভব হয়েছিল। তাদায়োশির দত্তক পুত্র আশিকাগা তাদাফুয়ু ছিলেন দলত্যাগের অসামান্য উদাহরণ: ১৩৫৩ এবং ১৩৫৪ সালে কিয়োতোর বিরুদ্ধে সাম্রাজ্যবাদী আক্রমণের সময় তিনি দক্ষিণ দরবারের পশ্চিমা সেনাবাহিনীর নেতা হয়েছিলেন।
=== শুগো প্রভুদের উত্থান ===
এই যুগের উত্থান-পতন বুঝতে হলে আমাদের তখন শোগুন-শুগো প্রভু সম্পর্কের উদাহরণের দিকে ফিরে যেতে হবে। নানবোকু-চো যুগের বৈশিষ্ট্যযুক্ত প্রতিযোগিতামূলক আনুগত্য বিভিন্ন স্তরে খেলা হয়েছিল। একবারে আমরা মোরির মতো স্থানীয় সামুরাই পরিবারগুলোর দলত্যাগ দেখতে পাই - ভয়াবহ বিভাজনকারী কান্নো ঘটনার সময় অস্বাভাবিক নয়। উচ্চতর স্তরে, শুগো প্রভুরা চতুর্দশ শতাব্দীর শেষার্ধ পর্যন্ত বিপজ্জনকভাবে স্বাধীন পদ্ধতিতে কাজ চালিয়ে যান।
আশিকাগা শোগুন তাকাউজি পশ্চিম ও মধ্য জাপানের বিভিন্ন প্রদেশে শাখা পরিবারের সদস্যদের শুগো প্রভু হিসাবে নিয়োগ করেছিলেন। শুগো গভর্নর হিসাবে কাজ করেছিলেন এবং শাসন কেন্দ্র এবং পেরিফেরির মধ্যে মধ্যস্থতার দায়িত্ব পালন করেছিলেন। স্থানীয় গভর্নর এবং তাদের নিজস্ব অধিকারে প্রভু হিসাবে, তারা প্রদেশগুলোতে শাসনের কর্তৃত্বের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন। তারা প্রদেশব্যাপী নিয়োগের কারণে সামুরাই হাউসম্যানের চেয়ে অনেক বেশি কর্তৃত্ব অর্জন করেছিল, একক এস্টেটে সীমাবদ্ধ ছিল না। এখানে আমরা মুরোমাচি যুগের প্রথম দিকে আশিকাগা শোগুনের সাথে তাদের সম্পর্কের দিকে নজর দেব।
শুগো নিয়োগের সাফল্য আত্মীয়তার বন্ধনের দিকে নয়, বরং অন্যান্য কারণের মাধ্যমে তারা শাসনের সাথে কতটা ভালভাবে আবদ্ধ ছিল তার উপর নির্ভর করে। কামাকুরা আমল থেকে যোদ্ধা পরিবারগুলো শীর্ষপদ অধিকার (সোরিও) ব্যবহার করে চিহ্নিত করা হয়েছিল। এখানে শাখা পরিবারগুলোর উপর নেতৃত্ব দেওয়া হয়েছিল মূল পরিবারের নেত্রী। শীর্ষপদ অধিকারগুলো অত্যন্ত অস্থির ছিল। কারণ শাখা পরিবারগুলো প্রায়শই তাদের নিজস্ব স্বাধীনতা দাবি করেছিল, বিশেষত নতুন প্রজন্ম আত্মীয়তার বন্ধনকে হ্রাস করার জন্য আবির্ভূত হয়েছিল (মাস ১৯৮৯: ১১৯)।
সেদিনের প্রয়োজনীয়তাগুলো শুগো পদে নিযুক্ত ব্যক্তিদের দ্বারা সামরিক দক্ষতার সফল ব্যবহারের আহ্বান জানিয়েছিল। আশিকাগা শোগুন এবং স্থানীয় সামুরাইয়ের মধ্যে করদ সম্পর্কের মতো, শোগুন এবং শুগো প্রভুদের মধ্যে বন্ধন একই অর্থে মধ্যস্থতাকারী ছিল: প্রতিযোগিতামূলক আনুগত্যের জগতে, আশিকাগা শোগুনরা শুগো পোস্টগুলোতে যোদ্ধাদের নিয়োগ দিয়ে এই পুরুষদের নিজের আরও কাছাকাছি বেঁধে রাখার চেষ্টা করেছিল। সফল জেনারেলরা, যারা একই সাথে শাখা পরিবারের প্রধান ছিলেন যারা তাকাউজির বিদ্রোহের সাথে তাদের ভাগ্যে নিক্ষেপ করেছিলেন, তারাই প্রায়শই এই পদে পুরস্কৃত হন (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ২৩)। তাদের শাসকগোষ্ঠীর সাথে বেঁধে না রাখার মূল্য ছিল তাদের সমর্থন হারানো, এবং শাসন থেকে তাদের স্বাধীনতাকে উত্সাহিত করা।
শুগো পদে নিযুক্ত আশিকাগা শাখা পরিবারগুলোর মধ্যে হোসোকাওয়া, ইয়ামানা, ইমাগাওয়া, হাতাকেয়ামা, নিকি, কিরা, শিবা, ইশিদো এবং ইশিকি পরিবার অন্তর্ভুক্ত ছিল (পাপিনোট ১৯৭২: ২৭)। নির্দিষ্ট প্রদেশগুলোতে, আশিকাগা মূল শুগো পরিবারগুলোকে স্থানচ্যুত করতে ব্যর্থ হয়েছিল: কেন্দ্রীয় প্রদেশগুলোতে সাসাকি, তোগাশি, তাকেদা এবং ওগাসাওয়ারা এবং কিউশুতে শিমাজু, ওটোমো এবং শোনি (আর্নেসেন ১৯৭৯: ৬০)। মধ্য ও পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশগুলোতে প্রায় অর্ধেক নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত। সময় কান্নো ঘটনা, নতুন নিয়োগপ্রাপ্তদের সাথে আশিকাগা হেডশিপ (সোরিও) সম্পর্ক এই শুগোকে শাসনের প্রতি সরাসরি বিদ্রোহ থেকে মোটেও আটকাতে পারেনি। প্রকৃতপক্ষে, শুগো প্রভুদের তুলনায় এই সময়কালে শাসনের জবরদস্তিমূলক প্রতিষ্ঠানগুলোর শোচনীয়ভাবে অভাব ছিল।
শুগো প্রভুদের যা খুশি তা করতে বাধা দিয়েছিল তা হলো নিয়োগের ক্ষীণ যোগসূত্র। বিশেষত নতুন নিয়োগপ্রাপ্তরা যারা তাকাউজির সাথে আবির্ভূত হয়েছিল। যতক্ষণ না তারা তখনও প্রদেশগুলোতে তাদের ক্ষমতা তৈরি করতে পারেনি, ততক্ষণ শাসনের সাথে তাদের সংযোগ বজায় রাখার জন্য তাদের একটি স্বার্থান্বেষী উদ্দেশ্য ছিল। সুও এবং নাগাতো প্রদেশের ওচি এবং সাতসুমা প্রদেশের শিমাজুর মতো যেসব প্রাদেশিক পরিবার কামাকুরা আমলে ক্ষমতা অর্জন করেছিল, তারা তাদের নিজস্ব অধিকারে প্রভু ছিল। এই কারণে তার শাসন এবং তাদের শুগো উপাধির উপর কম নির্ভরশীল ছিল।
১৩৭২ এর পর শুগো প্রভুদের মুরোমাচি শাসনের জন্য কর (তানসেন) সংগ্রহের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। এই করগুলো অভিজাত থেকে শুরু করে সামুরাই পর্যন্ত জমির মালিকদের প্রতিটি শ্রেণীর উপর আঘাত করে। মধ্যস্থতাকারী হিসাবে, শুগো প্রতিটি পৃথক জমির মালিকের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় করের পরিমাণ বাড়িয়ে লাভ করেছিল (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ৭৫)। এই তারিখের মধ্যে, তারা গভর্নর হিসাবে অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছিল এবং তাই তাদের একটি নতুন শাসন কেন্দ্রিক কর তদারকির অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।
=== শুগো সিভিল ফাংশন এবং শুগো উইকের ব্যবহার ===
যা ফোকাসে আসে তা হলো শুগো প্রভু দ্বারা সিভিল গভর্নরের অফিসের ধীরে ধীরে কিন্তু অবিচলিত দখল এবং সামন্ততান্ত্রিক বন্ধনকে কার্যকর করার জন্য এই অবস্থানের ব্যবহার। শুগো পূর্ববর্তী গভর্নরদের মতো তার ঐতিহ্যবাহী প্রশাসনিক দক্ষতার মাধ্যমে নয়, বরং নানবোকু-চো যুদ্ধের সময় এস্টেটের জমি দখলকারী সামুরাইয়ের সাথে করদের মধ্যস্থতাকারী সম্পর্কের মাধ্যমে এবং সরকারি জমিতে বসবাসকারী সামুরাইদের সাথে (কোকুগারিও) কার্যকর করতে সক্ষম হয়েছিল। শুগো প্রভুরা উভয়ই গভর্নর ছিলেন, মুরোমাচি শাসন কর্তৃক তাদের দেওয়া কিছু বৈধ দায়িত্ব ছিল এবং সামন্ত প্রভুরা সামন্তদের প্ররোচিত করার চেষ্টা করেছিলেন।
নানবোকু-চো যুদ্ধ অভিজাতদের প্রতি নির্দয় ছিল। তাদের জমিগুলো পূর্ববর্তী সামুরাই স্টুয়ার্ডরা সরাসরি নিয়েছিল এবং অবৈধভাবে ব্যক্তিগত হোল্ডিংয়ে (চিগিও) রূপান্তরিত হয়েছিল। এই বৈপ্লবিক বিকাশ পরবর্তীকালে সংঘটিত এস্টেট ব্যবস্থার সম্পূর্ণ তরলকরণের অগ্রদূত ছিল। শুগো প্রভুরাও তাদের উপর সামুরাই চাপিয়ে তাদের নিয়ন্ত্রণাধীন প্রাক্তন এস্টেটগুলো জড়ো করে এই পুরো জমি দখলে অংশ নিয়েছিল (নাগাহারা ১৯৮২: ১২)। হাস্যকরভাবে, যুদ্ধের উচ্চতায় জমিতে সামুরাই দখলদারিত্ব দ্বারা সৃষ্ট এই আইনহীন পরিস্থিতি ক্ষুদ্র সামুরাই থেকে কোকুজিন পর্যন্ত সমস্ত জমিদার স্বার্থের জন্য সুরক্ষা সমস্যা সৃষ্টি করেছিল এবং স্থানীয় সামুরাইদের মধ্যে করদ আকারে শুগো প্রভুদের সাথে মধ্যস্থতাকারী সম্পর্ক অর্জনের জন্য আরও প্রেরণা সরবরাহ করেছিল। শুগোর সাথে নিজেকে বেঁধে রেখে, তারা প্রদেশের এমন এক ব্যক্তির সাথে নিজেকে মিত্রতা করতে সক্ষম হয়েছিল যিনি একরকম স্থানীয় সুরক্ষা সরবরাহ করতে পারেন।
শুগো লর্ড এবং কোকুজিনের মধ্যে করদ সম্পর্ক প্রায়শই এস্টেটগুলোতে শুগো চুক্তি (শুগো-উকে) নামে পরিচিত একটি ত্রিমুখী মধ্যস্থতাকারী টাই হয়: একজন অভিজাত মালিক রাজধানীতে বসবাসকারী মালিককে সরবরাহ করা গ্যারান্টিযুক্ত বছরের শেষের (নেঙ্গু) আয়ের বিনিময়ে শুগোকে তার এস্টেট পরিচালনার দায়িত্ব দিতেন। শুগো প্রভু তখন ম্যানেজার হিসাবে সেই এস্টেটগুলোতে করদ রাজ্য সামুরাই (হিকান) নিযুক্ত করেছিলেন (মিয়াগাওয়া ১৯৭৭: ৯২; মিয়াগাওয়া ১৯৭৭: ৯২)। নাগাহারা ১৯৮২: ১৪)। অনুমিতভাবে, শুগো চুক্তিগুলো শুগো প্রভু, সামুরাই কোকুজিন এবং আভিজাত্যের স্বার্থকে একত্রে বেঁধেছিল। তবে স্বার্থের সমতার ভিত্তিতে ছিল না। তারা সত্যই এস্টেটগুলোতে শুগো দখলের যন্ত্র ছিল। চুক্তির মধ্যস্থতাকারী প্রকৃতি সম্পর্কে কোনও সন্দেহ নেই। কারণ এটি তিনটি গোষ্ঠীর স্বার্থকে সংযুক্ত করেছিল। তবে এটি শুগো প্রভুর পক্ষে সবচেয়ে অনুকূল ছিল যিনি এই যন্ত্রটি স্থানীয় সামুরাই (কোকুজিন) এর সাথে করদের সম্পর্ক প্রসারিত করতে এবং একই সাথে আভিজাত্যের ব্যয়ে তার জমি বেস প্রসারিত করতে ব্যবহার করেছিলেন। শুগো চুক্তি (শুগো-উকে) ১৩৪০ এর দশকে আবির্ভূত হয়েছিল এবং ধীরে ধীরে ব্যাপক হয়ে ওঠে (উইন্টারস্টিন ১৯৭৪: ২১১)। এই চুক্তিটি কীভাবে পরিচালিত হয়েছিল তা দেখে, এটি স্পষ্ট যে এস্টেট সিস্টেম (শোয়েন) যোদ্ধাদের দ্বারা কতটা দখল করা হয়েছিল এবং তার পূর্ববর্তী জীবনের একটি কঙ্কালে পরিণত হয়েছিল। শুগো প্রভুরা সামরিক সেবার বিনিময়ে সামুরাইকে এস্টেটের পরিচালনা দিয়েছিলেন, কিন্তু আভিজাত্যকে এস্টেটের সমস্ত ক্ষমতা ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছিল, তিনি যেখানে থাকতেন সেখানে বছরের শেষের (নেঙ্গু) আয়ের অংশের জন্য অপেক্ষা করতে হ্রাস পেয়েছিলেন। অভিজাত তার নিজের আয়ের অংশের গ্যারান্টি দেওয়ার জন্য কর অধ্যক্ষ (নেঙ্গু দাইকান) নিয়োগ করেছিলেন। তবে তাকে নিয়োগের জন্য অত্যধিক পরিমাণ অর্থ প্রদান করতে হয়েছিল। কোকুজিন এবং শুগো প্রভু দ্বারা ইতিমধ্যে হ্রাস করা অভিজাত আয় আরও হ্রাস পেয়েছিল যখন ট্যাক্স ওভারসিয়ার তার অর্ধেক নিয়েছিল। মহৎ আয়ের এই হ্রাস শুগো এবং সামুরাই উভয়ের পক্ষ থেকে ধীরে ধীরে অর্থ প্রদান না করার ফলাফল ছিল; শেষ ব্যবস্থা হিসাবে, অভিজাতরা যোদ্ধাদের উপর চাপ দেওয়ার উপায় হিসাবে মহাজন (ডিওএসও) এবং আমলাদের (বুগিওনিন) ভাড়া করেছিল। তবে এই প্রতিকারটিও দাগযুক্ত ফলাফল তৈরি করেছিল। কারণ ভাড়াটে হাতগুলো যোদ্ধাদের সাথে আলোচনা করতে হয়েছিল (নাগাহারা ১৯৮২: ১৬)।
=== শুগো এবং পাবলিক ল্যান্ডস (কোকুগারিও) ===
সম্প্রতি অবধি একটি বৃহত্তর অনুপস্থিত চিত্র হলো মুরোমাচি আমলে সরকারি জমিগুলোর ভাগ্য (কোকুগারিও) এবং তাদের উপর তাদের দখলদারিত্বে শুগো প্রভুদের ভূমিকা। হেইয়ান আমলে সরকারি জমি (কোকুগারিও) এস্টেটগুলোর ব্যক্তিগত জমি (শোয়েন) থেকে পৃথক ছিল। কারণ পরবর্তীকালে রাষ্ট্রীয় কর থেকে মুক্ত ছিল। বেসরকারি এস্টেটের উত্থানের আগে, একমাত্র ধরণের জমি ছিল পুরানো নাগরিক প্রশাসনের অধীনে রক্ষণাবেক্ষণ করা সরকারি জমি। হেইয়ান আমলে শোয়েন নামে পরিচিত বেসরকারি এস্টেটগুলোর উত্থানের সাথে সাথে সরকারি জমিগুলো কোনওভাবেই অদৃশ্য হয়ে যায়নি: বিশদভাবে, সরকারি জমিগুলো ব্যক্তিগত এস্টেট থেকে খুব কম আলাদা ছিল। দুটিরই মালিক ছিলেন অনুপস্থিত মালিকরা। তারা কেবল প্রশাসনের দিক থেকে পৃথক ছিল: বেসরকারি এস্টেটগুলো সরাসরি অভিজাত কর্মকর্তাদের দ্বারা পরিচালিত হত, অন্যদিকে, সরকারি জমিগুলো প্রাক্তনদের পক্ষে সিভিল গভর্নরদের (কোকুগা বা কোকুশি) দ্বারা পরিচালিত হত (আর্নেসেন ১৯৭৯: ৯৪)। কামাকুরা আমলে সরকারি জমিগুলো বিভিন্ন জমির মালিকদের ব্যক্তিগত হোল্ডিং (চিগিও) হিসাবে মালিকানাধীন ছিল। এই জমির মালিকদের মধ্যে অভিজাত বাড়ি, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান এবং যোদ্ধা অন্তর্ভুক্ত ছিল। কান্তো এবং উত্তর-পূর্বের পুরো অঞ্চল যোদ্ধাদের দখলে ছিল এস্টেট ম্যানেজার হিসাবে নয়, ব্যক্তিগত হোল্ডিং হিসাবে (নাগাহারা ১৯৮২: ১৫): কান্টো প্রদেশগুলো কামাকুরা শাসনকে ব্যক্তিগত জমি (চিগিওকোকু) হিসাবে দেওয়া হয়েছিল। আশিকাগা শাসন এই জমিগুলো উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছিল এবং ভাগ্যক্রমে তাদের উপরে শুগো প্রভুদের রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল (আর্নেসেন ১৯৭৯: ৯৪)।
সিভিল গভর্নর অফিসের (কোকুশি) অন্যতম প্রধান কাজ ছিল প্রদেশগুলোতে ফৌজদারি বিচারের তদারকি এবং সরকারি জমির মধ্যে ব্যক্তিগত হোল্ডিংগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ (কোকুগারিও)। তবে কামাকুরা শাসনের আবির্ভাবের সাথে তার কার্যকারিতা পরিবর্তন হতে শুরু করে (হল ১৯৬৬: ২০২-০৩)। কামাকুরা কর্তৃক শুগো কনস্টেবল নিয়োগের সাথে সাথে প্রদেশগুলোর মধ্যে সমস্ত ফৌজদারি এখতিয়ার তার হাতে চলে যায়। তবে সিভিল গভর্নর (কোকুশি) সিভিল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (রিটসুরিও) মূল কর্মকর্তা হিসাবে রয়ে গেলেন, যিনি নিশ্চিত করেছিলেন যে ব্যক্তিগত হোল্ডিং থেকে ভাড়া কিয়োতো এবং ইয়ামাশিরো প্রদেশের অনুপস্থিত অভিজাত এবং ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে (জিশা হোনজো) পৌঁছেছে। তাঁর তত্ত্বাবধানে যোদ্ধাদের ব্যক্তিগত হোল্ডিংগুলো অন্তর্ভুক্ত ছিল না, সাধারণত কানটো এবং আরও উত্তরে কেন্দ্রীভূত ছিল।
নানবোকু-চো যুদ্ধের প্রাদুর্ভাবের সাথে সাথে নাগরিক প্রশাসন (ঋতসুরিও) দ্রুত ভেঙে পড়তে শুরু করে এবং শুগো প্রভুরা, যাদের কামাকুরা আমলে প্রাদেশিক শাসনে সামান্য ভূমিকা ছিল, তারা সিভিল গভর্নরের দায়িত্ব দখল করতে আবির্ভূত হয়েছিল। এটি প্রতিটি প্রদেশে তাত্ক্ষণিকভাবে ঘটেনি। তবে শুগো প্রভুরা সরকারি জমিতে সত্যিকারের গভর্নর না হওয়া পর্যন্ত কোনও বাধা ছাড়াই ঘটেছিল (কোকুগারিও)। তারা সরকারি জমির মধ্যে ব্যক্তিগত হোল্ডিংয়ের তদারকি করার সাথে সাথে তারা বিভিন্ন ধরণের জমির মালিকদের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করেছিল: অভিজাত, বিভিন্ন ধরণের সামুরাই (কোকুজিন, জিজামুরাই) এবং ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের সাথে। তারা এই জমিগুলোতে তাদের নিজস্ব অনুসারীদের চাপিয়ে দিয়েছিল এবং সামরিক সেবার বিনিময়ে বিদ্যমান সামুরাইয়ের জমিগুলো পুনরায় নিশ্চিত করেছিল এবং অনুমানযোগ্য ফলাফলের সাথে অভিজাতদের সাথে শুগো চুক্তি প্রতিষ্ঠা করেছিল (নাগাহারা ১৯৮২: ১৫)। এস্টেটগুলোতে স্থানীয় সামুরাই (কোকুজিন) এর সাথে করদ সম্পর্কের পাশাপাশি, সরকারি জমিতে করদ বন্ধন একটি মূল সংস্থান হয়ে ওঠে যা শুগো প্রভুদের শক্তি বাড়িয়ে তোলে।
তদুপরি, ১৩৪৬ সালে মুরোমাচি শাসনের উত্থানের দশ বছর পর শোগুন শুগোকে এস্টেটগুলোতে ফসল চুরির মামলাগুলো বিচার করার এবং সাম্রাজ্যবাদী বাহিনীর কাছ থেকে নেওয়া যোগ্য করদ রাজ্যগুলোর জমির অস্থায়ী নিয়োগ দেওয়ার অধিকার দিয়ে কর্তৃত্বকে বিকেন্দ্রীকরণ করেছিল (আর্নেসেন ১৯৭৯: ৬৫)। এটি তাৎপর্যপূর্ণ ছিল, যতক্ষণ না কামাকুরা এখতিয়ারের ঐতিহ্যবাহী অঞ্চলগুলো মুরোমাচি শাসন দ্বারা "ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল"। পূর্বে, ফসল চুরি বা জমি বরাদ্দের সমস্ত মামলা কঠোরভাবে কামাকুরা প্রশাসনের অধীনে ছিল। এছাড়াও প্রায় একই সময়ে সাম্রাজ্যবাদী শক্তি তাদের সবচেয়ে খারাপ পরাজয়ের সম্মুখীন হচ্ছিল, এই পরিস্থিতি শত্রুদের জমি বাজেয়াপ্ত ও পুনর্নির্ধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দিচ্ছিল। শুগো প্রভুদের এই নতুন এখতিয়ার দেওয়ার মাধ্যমে এটি তাদের নির্ধারিত প্রদেশগুলোর গভর্নর হিসাবে তাদের অবস্থানকে আরও বাড়িয়ে তোলে।
=== বৈধতা এবং ক্ষমতার সীমাবদ্ধতা ===
এই দ্বৈত ক্ষমতায় শুগো প্রভুদের গভর্নর হিসাবে পরিচালিত জমির জন্য প্রদেশগুলোতে অন্যান্য জমি সামুরাইয়ের সাথে প্রতিযোগিতা করতে হয়েছিল। তবে ব্যক্তিগতভাবে মালিকানাধীন ছিল না। অভিজাত মালিকদের মতো, একক শুগো প্রভু বেশ কয়েকটি প্রদেশের বিস্তৃত অঞ্চলে জমির মালিক ছিলেন। তাঁর ক্ষমতা ষোড়শ শতাব্দীর আঞ্চলিক প্রভুদের (দাইমিও) মতো জমির ব্যক্তিগত মালিকানার উপর নির্মিত হয়নি। তবে করদের বন্ধনের মাধ্যমে স্থানীয় সামুরাইয়ের আনুগত্যের উপর নির্মিত হয়েছিল (মিয়াগাওয়া ১৯৭৭: ৯১-৯৩)। ষোড়শ শতাব্দীর আঞ্চলিক প্রভুদের দ্বারা অনেক বেশি জবরদস্তিমূলক সম্ভাবনা প্রয়োগ করা হয়েছিল। কারণ তাদের আশেপাশের জমিগুলোর মালিকানার উপর ভিত্তি করে তাদের করদের বন্ধন ছিল: মালিক হিসাবে তারা উপযুক্ত হিসাবে জমিটি ছেড়ে দিতে পারে, খুব বেশি ঝামেলা ছাড়াই অবাধ্য করদ রাজ্যগুলোর থেকে মুক্তি পেতে পারে। চতুর্দশ শতাব্দীতে, শুগো প্রভুরা অঞ্চলটির প্রদেশব্যাপী মালিকানা দাবি করতে পারেনি: প্রথমত, ব্যক্তিগত প্রাদেশিক মালিকানার ধারণাটি তখনও অনুন্নত ছিল; দ্বিতীয়ত, তারা কখনই প্রচুর পরিমাণে ব্যক্তিগত সম্পত্তি সংগ্রহ করেনি, বরং তাদের সামন্তদের দখল করার জন্য এস্টেট জমি এবং সরকারি জমির ঐতিহ্যবাহী কাঠামো ব্যবহারের উপর নির্ভর করেছিল। এটি চতুর্দশ শতাব্দীর কেন্দ্রীয় রহস্য: এস্টেট সিস্টেমের বিভাজন এবং বিলুপ্তি এবং নাগরিক প্রশাসনের অন্তর্ধান ব্যক্তিগত জমির বিস্তারের সাথে মিলে যায়। তবে এস্টেট সিস্টেমের বাহ্যিক কাঠামো (শোয়েন) এবং পাবলিক ল্যান্ডস সিস্টেম (কোকুগারিও), যদিও বিষয়বস্তু বিহীন, তবুও রয়ে গেছে (কিয়ারস্টেড ১৯৮৫: ৩১১-১৪)। বিভাজনের পরিপ্রেক্ষিতে, এটি ছিল শুগো করদের মধ্যস্থতাকারী সম্পর্ক এবং প্রাদেশিক গভর্নর হিসাবে শুগোর ভূমিকা। এটি কিছুটা হলেও ভিন্ন শক্তিকে সংহত করতে সহায়তা করেছিল।
যোদ্ধাদের হাতে যে অবক্ষয়ের শিকার হয়েছিল তার পরিপ্রেক্ষিতে এস্টেট ব্যবস্থা কীভাবে আদৌ বেঁচে ছিল তা আশ্চর্যের বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। উপরে বর্ণিত ক্ষয়িষ্ণু আকারে টিকে থাকার দুটি। কারণ ছিল: এক, মুরোমাচি শাসনের অস্তিত্ব ছিল যা যোদ্ধা আক্রমণের মুখে ধারাবাহিকভাবে এস্টেট ব্যবস্থাকে সমর্থন করেছিল (নাগাহারা ১৯৮২: ১৬)। দ্বিতীয় বিভাগে বর্ণিত হিসাবে, আশিকাগা তাকাউজি নিশ্চিত করার চেষ্টা করেছিলেন যে অর্ধেক করের পরিমাপ দ্বারা যোদ্ধাদের উপর নির্ধারিত সীমা অতিক্রম করা হয়নি। তবে তিনি শুগো চুক্তির মতো ব্যবস্থাগুলো এড়াতে ব্যর্থ হয়েছিলেন যা সত্যই তার সম্পত্তি এবং এর আয়ের আভিজাত্যকে অস্বীকার করেছিল। অর্ধ করের পরিমাপ নিজেই সামুরাইয়ের হাতে সম্পত্তির সরাসরি দখল থেকে আভিজাত্যকে রক্ষা করেনি, এমনকি যদি পরবর্তীকালে অর্ধ কর আইন পূরণের জন্য একটি অংশ হস্তান্তর করার প্রয়োজন হয়। শেষ পর্যন্ত, মুরোমাচি প্রশাসনই নিশ্চিত করেছিল যে সামুরাইরা তাদের আয়ের অংশ অভিজাতদের প্রদান করে।
এস্টেট ব্যবস্থার টিকে থাকার পেছনে অন্য কারণটি অভিজাত শ্রেণীর বৈধতার সাথে সংযুক্ত ছিল। এস্টেটে বসবাসকারী কৃষকদের মধ্যে যোদ্ধাদের উত্থান জনপ্রিয় ছিল না। অভিজাতদের আরও কোমল হাত ছিল সেই হাতটিও লোকেরা শ্রদ্ধা করতে এসেছিল। জনগণের মধ্যে সরাসরি অবাধ্যতা ও বিদ্রোহ রোধ করা শুগো প্রভু এবং কোকুজিন উভয়ই এস্টেট কাঠামোর বাহ্যিক রূপকে সম্মান জানাতে আসার একটি। কারণ ছিল। কৃষকদের চোখে তাদের শাসনকে বৈধ করার জন্য, যোদ্ধারা এস্টেট কাঠামোর কাঠামোর মধ্যে কাজ করেছিল, যদিও এই কাঠামোটি পুরোপুরি পরিবর্তিত হয়েছিল (নাগাহারা ১৯৮২: ১৬-৭)। একটি মামলা তৈরি করা যেতে পারে যে ইয়ামাশিরো প্রদেশের বাইরে এস্টেট ব্যবস্থা এমন পরিমাণে ক্ষয়প্রাপ্ত হয়েছিল, প্রদেশগুলোতে অভিজাতদের কোনও প্রভাব অবশিষ্ট ছিল না।
== আশিকাগা শক্তি একীকরণ: ১৩৬০-১৩৭০ ==
১৩৫৮ সালে তাকাউজির মৃত্যুর পর শোগুনতন্ত্র তার পুত্রের হাতে চলে যায় যোশিয়াকিরা। তাঁর নেতৃত্বে, এবং কানরেই হোসোকাওয়া ইয়োরিয়ুকির নেতৃত্বে, শাসনব্যবস্থা ১৩৬০ এবং ৭০ এর দশকে শুগো প্রভুদের সংহত করতে সফল হয়েছিল: আশিকাগার শুগো শাখা পরিবারগুলো সরকারি আমলাতন্ত্রের মধ্যে নিযুক্ত ছিল। আমি নিম্নলিখিত পয়েন্টগুলো কভার করব: ১) কানরেই কাউন্সিল সিস্টেমের উত্থান, এবং মধ্যস্থতাকারী যন্ত্র হিসাবে বোর্ড অফ রিটেইনার্স যা শুগো প্রভুদের শাসনের সাথে আরও দৃঢ়ভাবে আবদ্ধ করেছিল; ২) শোগুনাল আধিপত্যের আকারে একটি জবরদস্তিমূলক যন্ত্রের উত্থান যা ভ্রান্ত শুগো প্রভুদের শৃঙ্খলাবদ্ধ করতে ব্যবহৃত হয়েছিল এবং দক্ষিণ দরবারের বাহিনীর চূড়ান্ত পরাজয়; ৩) দরবারের র্যাংকিং সিস্টেমের ব্যবহার একটি মধ্যস্থতাকারী যন্ত্র হিসাবে যা শাসনকে রাজকীয় দরবারের সাথে আবদ্ধ করেছিল এবং এর সাথে সম্পর্কিত ১৩৬৮ সালের হানজেই অর্ধ-কর ডিক্রি এবং এর প্রভাব। ৪) কিউশু ও কানটো অঞ্চলে মুরোমাচি কর্তৃপক্ষের সীমাবদ্ধতা।
শাসনব্যবস্থাকে পুনর্গঠন করে কান্নো ঘটনার ক্ষত নিরাময়ের জন্য শোগুন যোশিয়াকিরার উপর ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। ১৩৬২ সালে তিনি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেছিলেন যা শুগো প্রভুদের শাসনের সাথে সংযুক্ত করেছিল: কানরেই কাউন্সিল সিস্টেম। এই ব্যবস্থাটি দুটি উপাদান নিয়ে গঠিত হয়েছিল, কানরেই অফিস এবং সিনিয়র করদ রাজ্য কাউন্সিল (জুশিন কাইগি) যার উপর কানরেই সভাপতিত্ব করেছিলেন। কানরেই কাউন্সিল ব্যবস্থায় সবচেয়ে শক্তিশালী শুগো পরিবারকে সরাসরি মধ্য ও পশ্চিম জাপান শাসনে অংশগ্রহণকারী হিসাবে জড়িত করা হয়েছিল। শোগুনের পাশাপাশি, কানরেই কাউন্সিল মুরোমাচি শাসনের হৃদয় গঠনের জন্য এমন পরিমাণে আবির্ভূত হয়েছিল, ইতিহাসবিদরা এই শাসনকে বাকুফু-শুগো সিস্টেম হিসাবে চিহ্নিত করতে এসেছেন (তনুমা ১৯৭৬: ১২; তানুমা ১৯৭৬: ১২)। হ্যারিংটন ১৯৮৫: ৬৭)।
=== কানরেই কাউন্সিল এবং প্রতিষ্ঠানের পুনর্গঠন ===
কানরেই কাউন্সিল ব্যবস্থা মধ্যস্থতাকারী ছিল। কারণ এটি আমলাতান্ত্রিক শাসনের সামরিক দিককে একত্রিত করেছিল। কান্নো ঘটনার সাথে উদ্ভূত দ্বন্দ্বটি তাকাউজি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত সামরিক করদ রাজ্য প্রতিষ্ঠান এবং তাদায়োশি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত আমলাতান্ত্রিক-বিচারিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে বিচ্ছেদ এবং সংঘর্ষের সাথে সম্পর্কিত। কানরেই কাউন্সিল ব্যবস্থার উত্থানের সাথে সাথে প্রশাসনের সামরিক পক্ষের প্রতিনিধিত্বকারী শুগো প্রভুরা নীতি সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় হিসাবে আমলাতন্ত্রের সাথে দৃঢ়ভাবে আবদ্ধ ছিলেন।
কানরেই অফিস নিজেই শোগুনের সাথে শুগো প্রভুদের স্বার্থকে একত্রিত করে মধ্যস্থতার একটি underground water worm উদাহরণ। কানরেইয়ের কাজ ছিল সিনিয়র করদ রাজ্য কাউন্সিল (জুশিন কাইগি) এবং শোগুনের মধ্যে মুখপাত্র হিসাবে কাজ করা, দুজনের মধ্যে মধ্যস্থতা করা (কাওয়াই ১৯৭৭: ৭০)। কানরেইয়ের দৈনন্দিন ভিত্তিতে শাসনের আমলাতান্ত্রিক উপাদানগুলো দেখার, পরামর্শ করা এবং কাউন্সিল এবং আমলাতন্ত্রের কাছে শোগুনাল আদেশগুলো প্রেরণ করাও দায়িত্ব ছিল। কান্রেই ধারাবাহিকভাবে চার প্রজন্মের মধ্যে তাকাউজির সাথে সম্পর্কিত তিনটি শুগো পরিবারের বংশগত গোষ্ঠী থেকে নির্বাচিত হয়েছিল (পাপিনোট ১৯৭২: ২৭): হোসোকাওয়া, হাতাকিয়ামা এবং শিবা। তিনটি পরিবার পালাক্রমে পদটি পূরণ করেছিল। তারা শাসকদের সর্বোচ্চ পদমর্যাদার শুগো পরিবার ছিল এবং কানরেইয়ের পদটি এর সমর্থনে তাদের স্বার্থকে বেঁধে রাখতে সহায়তা করেছিল।
কানরেই কাউন্সিল ব্যবস্থার অন্য উপাদানটি ছিল সিনিয়র করদ রাজ্য কাউন্সিল (জুশিন কাইগি)। কানরেই কাউন্সিলের সভাগুলোর সভাপতিত্ব করেছিলেন, কাউন্সিলের সিদ্ধান্তগুলো শোগুনকে রিলে করেছিলেন এবং শোগুন থেকে কাউন্সিলে আদেশ প্রেরণ করেছিলেন। এই ব্যবস্থায়, কাউন্সিল এবং শোগুনের মধ্যে পরামর্শের মাধ্যমে শাসন নীতি প্রণয়ন করা হয়েছিল, যদিও চূড়ান্ত সিদ্ধান্তগুলো পরবর্তীকালে নেওয়া হয়েছিল (কাওয়াই ১৯৭৭: ৭০-৭১; কাওয়াই ১৯৭৭: ৭০-৭১)। সাতো ১৯৭৭: ৪৮)। শুরুতে, কাউন্সিলটি তিনটি শুগো পরিবারের প্রধানদের সমন্বয়ে গঠিত হয়েছিল যাদের কাছ থেকে কানরেই নিয়মিত নির্বাচিত হয়েছিল এবং শক্তিশালী শুগো পরিবারের আরও চারটি প্রধান: ইয়ামানা, ইশিকি, আকামাতসু এবং কিয়োগোকু (ভার্লি ১৯৬৭: ২৭-৯)। শেষোক্ত দুটি পরিবার আশিকাগা পরিবারের সাথে সম্পর্কিত ছিল না। পরবর্তী কয়েক দশক ধরে ওচি, সাসাকি এবং টোকি পরিবারগুলোর নিয়োগের সাথে সম্পর্কহীন শুগো পরিবারগুলোকে কাউন্সিলে অন্তর্ভুক্ত করার এই প্রবণতা অব্যাহত ছিল। এই প্রবণতাটি ইঙ্গিত দেয় যে শক্তিশালী শুগো পরিবারগুলো, আত্মীয়তা নির্বিশেষে, সিনিয়র করদ রাজ্য কাউন্সিলের মধ্যস্থতাকারী প্রকৃতির মাধ্যমে শাসনের সাথে আবদ্ধ ছিল: শুগো প্রভু এবং শোগুনের মধ্যে দ্বন্দ্ব এবং সম্ভাব্য স্বার্থের দ্বন্দ্বকে শুগো প্রভুদের কাউন্সিলের মধ্যে আলোচনায় তাদের মতামত জানাতে দিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়া হয়েছিল। বোর্ড অফ রিটেইনার্স (সামুরাইডোকোরো) চতুর্দশ শতাব্দীতে ইমাগাওয়া (যিনি একটু পরে কাউন্সিলের সদস্য হয়েছিলেন), হোসোকাওয়া, হাতাকেয়ামা, শিবা এবং টোকির মধ্যে থেকে নির্বাচিত একজন সিনিয়র করদ রাজ্য কাউন্সিল সদস্যেরও নেতৃত্বে ছিলেন। কিয়োতোর রাজধানীতে পুলিশ কার্যাবলী এবং ফৌজদারি বিচার সম্পাদনের উপর বোর্ড অফ রিটেইনারদের দায়িত্ব ছিল (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ৮৮,১০৭)। অফিসধারী স্বয়ংক্রিয়ভাবে জাপানের সবচেয়ে ধনী এবং সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ ইয়ামাশিরো প্রদেশের উপর শুগো হয়ে ওঠে এবং শাসনের সদর দফতর এবং কিয়োতো শহর রক্ষার দায়িত্ব ছিল (ভার্লি ১৯৬৭: ৫৭)। পঞ্চদশ শতাব্দীর শুরুতে, চারটি শুগো পরিবারের মধ্যে থেকে অনুচর বোর্ডের প্রধান বেছে নেওয়া হয়েছিল: ইয়ামানা, আকামাতসু, কিয়োগোকু এবং ইশিকি। রিটেইনার্স বোর্ড কানরেই কাউন্সিল সিস্টেম যা করেছিল তা করেছিল: এটি শুগো প্রভুদের স্বার্থকে শাসনের সাথে সংযুক্ত করেছিল এবং এর ফলে তাদের মধ্যে সম্ভাব্য দ্বন্দ্বের মধ্যস্থতা করেছিল। শাসকগোষ্ঠীর সম্ভাব্য সংঘাতের উৎস শুগো প্রভুরা শাসকগোষ্ঠীর একটি প্রতিষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী হয়ে ওঠায় মধ্যস্থতাকারী ছিল।
সিনিয়র করদ রাজ্য কাউন্সিল এবং রিটেইনার্স বোর্ডে শুগোর অংশগ্রহণ পুনর্নির্মিত শাসনব্যবস্থায় তাদের অংশগ্রহণের আরও দুটি বিশিষ্ট উদাহরণ ছিল। এই অংশগ্রহণের গুরুত্বকে অবমূল্যায়ন করা যায় না: এই মধ্যস্থতাকারী যন্ত্রগুলো ব্যবহারের মাধ্যমেই আশিকাগা শোগুনরা তাদের নির্দেশনায় রাষ্ট্রকে কেন্দ্রীভূত করতে সক্ষম হয়েছিল। যেমনটি আমরা বারবার দেখব, মুরোমাচি সমাজের সমস্ত স্তরে নিয়োগের ব্যবস্থা হিসাবে হেডশিপ বন্ধন (সোরিও) আকারে আত্মীয়তা বড় হয়ে উঠেছে: এখানেও, সর্বোচ্চ অবস্থানের শুগো প্রভুরা বেশিরভাগই আশিকাগার শাখা পরিবার ছিল। যাইহোক, এই আত্মীয়তার বন্ধনগুলো আধা-স্বাধীন শুগো প্রভু এবং শাসকদের মধ্যে মধ্যস্থতার পথে খুব কমই কাজ করেছিল। বরং কানরেই কাউন্সিল ব্যবস্থার মাধ্যমে শাসন পরিচালনায় শুগো প্রভুদের কার্যকর অংশগ্রহণ ছিল যা তাদের স্বার্থকে শাসনের সাথে আগের চেয়ে আরও দৃঢ়ভাবে আবদ্ধ করেছিল।
=== আশিকাগা এবং শুগো জোটের উসে ===
১৩৬২ সালে দেশের দুটি সবচেয়ে শক্তিশালী শুগো ঘর, ওউচি এবং ইয়ামানা, এই শর্তে আশিকাগা শাসনের কাছে আত্মসমর্পণ করেছিল যে শোগুন তাদের নিজ নিজ প্রদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবে না (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ২৫)। পরবর্তীকালে, ইয়ামানা, যারা আশিকাগার সাথে সম্পর্কিত ছিল এবং ওউচি, যারা সম্পর্কিত ছিল না, সরকারি বিষয়ে ক্রমবর্ধমান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে শুরু করে। যাইহোক, কয়েক দশকের মধ্যে, উভয় শুগো ঘর শোগুনের ক্রোধের জন্য যথেষ্ট শক্তিশালী হয়ে ওঠে।
১৩৬৬ সালে প্রথম কানরেই অফিসধারীর পিতা, শিবা টাকাতসুনে, যিনি তার তেরো বছর বয়সী ছেলের উপর আসল ক্ষমতা রেখেছিলেন এবং যিনি শিবা পরিবারের সদস্যদের মূল সরকারি অফিসগুলোতে বসানোর ইঞ্জিনিয়ার করেছিলেন, তার ক্রমবর্ধমান শক্তি এবং অহংকারের কারণে বিশ্বাসঘাতক হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছিল (তিনি কানরেই পদ গ্রহণ করে অবমাননা বোধ করেছিলেন, তাই তার পরিবর্তে তিনি তার ছেলেকে নিয়োগ দিয়েছিলেন)। একটি গুরুত্বপূর্ণ শুগো পরিবারের বিরুদ্ধে শক্তির প্রথম প্রদর্শনে, যোশিয়াকিরা ইয়ামানা, সাসাকি, যোশিমি এবং টোকি শুগো প্রভুদের এচিজেন প্রদেশের শিবা আক্রমণ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। শিবা পরাজিত হয়েছিল এবং এচিজেনে তাদের অঞ্চল পুনরায় বিতরণ করা হয়েছিল (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ৯২)। ১৩৬৭ সালে শিবা পরিবারকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর হোসোকাওয়া ইয়োরিয়ুকিকে কানরেই পদের উত্তরসূরি হিসাবে নামকরণ করা হয়েছিল: শোগুন যোশিয়াকিরার মৃত্যুর পর ইয়োরিয়ুকি তরুণ শোগুন যোশিমিতসুর সংখ্যালঘু থাকাকালীন শাসনকে আরও দৃঢ় ভিত্তির উপর স্থাপন করতে সক্ষম হন। ১৩৬৬ সালে তাদের নিজস্ব সহকর্মীদের একজনকে আক্রমণ করার জন্য শুগো প্রভুদের ব্যবহার, শুগো প্রভুদের তুলনায় শোগুনের ক্রমবর্ধমান কর্তৃত্ব এবং বয়সের সাথে বাড়তে থাকা জবরদস্তির একটি কার্যকর যন্ত্রের উত্থানের দিকে ইঙ্গিত করে। তখন পর্যন্ত, আমরা সত্যিকারের শৃঙ্খলাবদ্ধ ব্যবস্থার কার্যত অস্তিত্বহীনতা দেখেছি যা শোগুন তার শুগো প্রভুদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে পারে। শোগুন এবং শুগো প্রভুদের মধ্যে উদ্ভূত নতুন মধ্যস্থতাকারী যন্ত্রগুলোর সাথে একত্রে, শোগুন-শুগো জোটের মাধ্যমে এক শুগো প্রভুকে অন্যের বিরুদ্ধে দাঁড় করানোর নতুন জবরদস্তিমূলক যন্ত্রটি শোগুনের হাতকে শক্তিশালী করেছিল।
১৩৬২ সালে কিয়োতোর বিরুদ্ধে সর্বশেষ দক্ষিণ দরবারের আক্রমণ আশিকাগাকে রাজধানী থেকে সরে আসতে বাধ্য করেছিল। তবে পূর্ববর্তী অনেক প্রচেষ্টার মতো, সাম্রাজ্যবাদীদের শেষ পর্যন্ত কিছু অর্জন না করেই একটি বড় পাল্টা আক্রমণের মুখে পিছু হটতে হয়েছিল (সানসোম ১৯৬১: ১০৮)। ১৩৫০-এর দশকে সাম্রাজ্যবাদী সেনাবাহিনীর মধ্যে যে উচ্ছ্বাস ছিল তা ম্লান হয়ে গেছে। এই তারিখের পরে প্রতিরোধ বিক্ষিপ্ত এবং সম্পূর্ণ প্রতিরক্ষামূলক হয়ে ওঠে। অবশেষে ১৩৬৯ সালে সম্রাট গো-মুরাকামির মৃত্যুর এক বছর পর কট্টর সাম্রাজ্যবাদী জেনারেল কুসুনোকি মাসানোরি শাসকগোষ্ঠীর কাছে আত্মসমর্পণ করেন। তাঁর আত্মসমর্পণের ফলে কেন্দ্রীয় প্রদেশগুলোর প্রতি সাম্রাজ্যবাদী হুমকির অবসান ঘটে (সানসোম ১৯৬১: ১০৮)।
=== দরবারের কাছে বৈধতা চাওয়া ===
১৩৭০ সালে ইমাগাওয়া সাদায়ো (রিওশুন) দ্বারা নিযুক্ত করা হয়েছিল কানরেই ইয়োরিয়ুকি এবং সিনিয়র করদ রাজ্য কাউন্সিল কিউশুতে দক্ষিণ দরবারের প্রতিরোধের শেষ দুর্গটি নামিয়ে আনতে। বারো বছরের কঠোর অভিযানের পর সাম্রাজ্যবাদী প্রতিরোধ ১৩৮১ সালে কিকুচি পরিবারের পরাজয়ের সাথে ভেঙে পড়ে। ১৩৮৫ সালে শিমাজু উজিহিসার মৃত্যুর সাথে সাথে সর্বশেষ কিউশু প্রাদেশিক ডোমেন শাসনব্যবস্থার প্রতি তার আনুগত্য ঘোষণা করেছিল (সানসোম ১৯৬১: ১১২)। কিউশুর পতনের সাথে সাথে সমগ্র পশ্চিম জাপান আশিকাগা শাসনের শাসন ও প্রভাবের অধীনে আসে। তবে অভিজাতদের উপর আশিকাগা শাসনকে বৈধতা দেওয়ার জন্য একা প্রচারণা অপর্যাপ্ত ছিল। ১৩৬৭ এর পর শোগুন যোশিমিতসুর সংখ্যালঘু সময়ে, কানরেই হোসোকাওয়া ইয়োরিয়ুকি অভিজাতদের চোখে শাসনকে বৈধতা দেওয়ার প্রয়াসে সক্রিয় হয়ে ওঠেন। তিনি বেশ কয়েকটি অত্যন্ত রক্ষণশীল পদক্ষেপের মাধ্যমে এটি করেছিলেন, কিয়োতোর অভিজাতদের মধ্যে প্রতিপত্তি অর্জন করেছিলেন। তিনি তরুণ শোগুনকে এতে অংশ নিয়ে একটি প্রাচীন দরবার র্যাংকিং সিস্টেম ব্যবহার করেছিলেন (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ২৬)। তিনি অতীতের যে কোনও যোদ্ধা নেতার চেয়ে দরবারের সাথে শাসকগোষ্ঠীকে আরও ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত করেছিলেন। এটি করার মাধ্যমে, তিনি শাসনকে রাজদরবারের কাছাকাছি বেঁধে রেখেছিলেন, যার ফলে নানবোকু-চো দ্বন্দ্বে ইন্ধন জুগিয়েছিল এমন মতাদর্শের কলঙ্ক মুছে ফেলা হয়েছিল: আশিকাগা তাকাউজিকে সাম্রাজ্যবাদী শক্তি পুনরুদ্ধারের বিরুদ্ধে লড়াই করা বিশ্বাসঘাতক হিসাবে দেখা হয়েছিল।
জাপানি সমাজের বিভিন্ন শ্রেণির মধ্যে এর জনপ্রিয়তার কারণে দরবার সমাজ এত দীর্ঘ সময় টিকে ছিল। এস্টেট স্তরে, কৃষকরা যোদ্ধাদের চেয়ে অভিজাতদের সাথে অনেক বেশি ঘনিষ্ঠ বোধ করেছিল। অভিজাতদের ক্ষয়িষ্ণু শক্তি সত্ত্বেও, তাদের প্রভাব তাদের প্রকৃত ক্ষমতার বাইরে চলে গিয়েছিল। কারণ তারা ঐতিহ্যের বৈধতা এবং সংস্কৃতির ক্যারিশমা ধারণ করেছিল যা যোদ্ধাদের ছিল না। এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই যে ইয়োরিয়ুকি তরুণ শোগুনকে দরবারের অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিল: এই অংশগ্রহণটি মধ্যস্থতাকারী ছিল, দরবারের র্যাংকিং সিস্টেমের সর্বোচ্চ সামরিক নেতাকে জড়িত করেছিল যা বেশ কয়েক শতাব্দী আগের, এবং এর ভিত্তি হিসাবে যোদ্ধাসহ প্রত্যেকের উপর সাম্রাজ্যবাদী ধারার প্রাধান্য ছিল, যাদের সম্রাটের কাছ থেকে উপাধি পেতে হয়েছিল। এই দরবারের র্যাংকিং রীতিতে অংশ নিয়ে, আশিকাগা শাসন পুরো সমাজকে একটি শক্তিশালী বার্তা পাঠাচ্ছিল: দরবার কর্তৃক প্রদত্ত বৈধতা তখনও বৈধ এবং তখনও গুরুত্বপূর্ণ (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ২০)। এই অংশগ্রহণ যোদ্ধা শাসন এবং দরবারের মধ্যে উত্তেজনা দূর করেছিল এবং যোদ্ধা শ্রেণির মধ্যে দরবারের সংস্কৃতি প্রচারের অনিচ্ছাকৃত প্রভাব ফেলেছিল, স্বাদের একটি সংমিশ্রণ তৈরি করেছিল যা চিরকালের জন্য জাপানি সংস্কৃতির এই সময়টিকে উজ্জ্বল উদ্ভাবনের এক হিসাবে চিহ্নিত করেছে। একদিক থেকে এই অংশগ্রহণ ছিল একটি অপ্রচলিততা যা বাস্তব জগৎ থেকে সরানো বলে মনে হয়েছিল,খানে যোদ্ধারা সরাসরি ক্ষমতা প্রয়োগ করত। তবে বৈধতার প্রশ্নটি অগত্যা ক্ষমতার প্রত্যক্ষ অনুশীলনের সাথে আবদ্ধ নয়। বৈধতা মতাদর্শের সাথে আবদ্ধ, এবং অভিজাত আভিজাত্য শাসনের আদর্শিক ভিত্তি যোদ্ধাদের শাসনের চেয়ে ভালো ভিত্তি ছিল। একা শক্তি প্রয়োগ বৈধতা তৈরি করতে পারে না, এবং দরবারকে ঘিরে যে সাংস্কৃতিক পরিবেশ ছিল তা তখনও সামুরাই তরোয়ালের চেয়ে অনেক বেশি প্ররোচিত, অনেক বেশি মার্জিত ছিল। যোদ্ধারা নিজেরাই আভিজাত্যদের সংস্কৃতির প্রতি আকৃষ্ট হয়েছিল এবং উত্সাহের সাথে পরবর্তীকালের স্বাদগুলো অনুকরণ করেছিল যতক্ষণ না তারা এমন একটি সংশ্লেষণ তৈরি করতে সক্ষম হয়েছিল যা আগে যা ছিল তার বাইরে চলে গিয়েছিল যেমন জেন দ্বারা প্রভাবিত রক গার্ডেনের উত্থান অন্যান্য শিল্প ফর্মগুলোর মধ্যে যা আজ অবধি স্থায়ী প্রভাব ফেলেছে। এবং কেবল এই কারণেই, চতুর্দশ শতাব্দীর শেষ কয়েক দশক ধরে শোগুন এবং রাজদরবারের মধ্যে যে সংযোগ কার্যকর হয়েছিল, তা শোগুনের শক্তির বৈধতা প্রশস্ত করার প্রভাব ফেলেছিল।
দ্য কানরি ইয়োরিয়ুকি ১৩৬৮ সালে শেষ অর্ধ-কর ডিক্রি (হানজেই) জারি করেছিলেন। এই ডিক্রিটি একটি বিস্তৃত এবং সিদ্ধান্তমূলক মধ্যস্থতাকারী যন্ত্র ছিল যা শাসকদের সাথে মহৎ স্বার্থকে বেঁধে রাখার জন্য ব্যবহৃত হয়েছিল: এটি রাজকীয় পরিবারের মালিকানাধীন জমি, প্রধান উপাসনালয়গুলোর নিয়ন্ত্রণাধীন জমি এবং রাজকীয় রিজেন্টদের মালিকানাধীন জমি (ফুজিওয়ারা) নিষিদ্ধ করেছিল। ব্যতিক্রমগুলোর মধ্যে আভিজাত্য জমিগুলোও অন্তর্ভুক্ত ছিল যা পূর্ববর্তী শোগুন (সম্ভবত যোশিয়াকিরা?) দ্বারা সম্পূর্ণ শিরোনাম দেওয়া হয়েছিল এবং সামুরাই স্টুয়ার্ডস (জিটো) দ্বারা পরিচালিত এস্টেটগুলো (উইন্টারস্টিন ১৯৭৪: ২১৯-২০)। এই ডিক্রিটি দেশব্যাপী সমস্ত এস্টেটের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য ছিল এবং এর আসল গুরুত্ব ছিল এস্টেটগুলোতে আরও সামুরাই আক্রমণ রোধ করতে এবং ইতিমধ্যে সংঘটিত সামুরাই আক্রমণের মুখে অভিজাতদের স্বার্থ রক্ষার জন্য ব্যবহৃত শক্তিশালী ভাষা। পূর্ববর্তী অর্ধ-করের ডিক্রিগুলোর বিপরীতে, এটি রক্ষণশীল ছিল এবং এর লক্ষ্য ছিল অভিজাত জমিগুলোকে ন্যায়সঙ্গত করার পরিবর্তে বিভাজন থেকে রক্ষা করা।
১৩৬৮ অর্ধ-কর ডিক্রির সাথে, শাসনটি ১৩৫২ ডিক্রি থেকে অনেক দূরে এসেছিল। তবে ইতিমধ্যে সংঘটিত সামুরাই আক্রমণের বাস্তবতা বিপরীত করা যায়নি। এখানে, মতাদর্শগতভাবে প্রকাশ্যে যা বলা হয়েছিল তা প্রদেশগুলোতে প্রকৃতপক্ষে যা ঘটছিল তা থেকে বিচ্যুত হয়েছিল। যেমনটি আমরা উপরে দেখেছি, ১৩৬৮ ডিক্রি সত্ত্বেও এস্টেটগুলোতে সামুরাই এবং শুগো প্রভুদের আক্রমণ মারাত্মক ছিল। আর পঞ্চদশ শতাব্দীতে ভূমি দখলের এই প্রবণতা আরও প্রকট হতে থাকে। আমাকে অবশ্যই এই সিদ্ধান্তে উপনীত হতে হবে যে ১৩৬৮ ডিক্রিটি যোদ্ধাদের অব্যাহত যোদ্ধা টেকওভারের প্রমাণের কারণে এস্টেট এবং তাদের আয়ের উপর নিয়ন্ত্রণ নেওয়া থেকে বিরত রাখতে সামগ্রিকভাবে অকার্যকর ছিল। এক অর্থে, ১৩৬৮ সালের ডিক্রিটি একটি আদর্শিক দলিল ছিল যা শোগুন এবং রাজকীয় দরবারের মধ্যে প্রতিষ্ঠিত ঘনিষ্ঠ সংযোগগুলো অনুসরণ করে আভিজাত্যদের চোখে আশিকাগা শাসনকে বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। তদুপরি, আশিকাগা শোগুনরা ইচ্ছা থাকলেও এস্টেটগুলোর আয়ের উপর যোদ্ধাদের অব্যাহত আক্রমণ বন্ধ করতে সক্ষম ছিল না। যতই অকার্যকর হোক না কেন, ১৩৬৮ সালের ডিক্রি স্বীকৃত মহৎ স্বার্থ একটি যোদ্ধা শাসন দ্বারা মতাদর্শগতভাবে রক্ষা করা হয়েছিল এবং এই প্রক্রিয়ায় উভয়ের স্বার্থকে একত্রে আবদ্ধ করা হয়েছিল।
অবশেষে, ১৩৬০-এর দশকে আবির্ভূত মুরোমাচি শাসনের প্রত্যক্ষ শাসন ভৌগোলিকভাবে কান্তোতে অবস্থিত পূর্ববর্তী কামাকুরা শাসনের বিপরীতে পশ্চিম ও কেন্দ্রীয় প্রদেশগুলোতে সীমাবদ্ধ ছিল। বাইরে শুগো লর্ডস (তোজামা) আশিকাগার সাথে সম্পর্কিত নয় যেমন টেকেদা, চিবা, ইউকি, সাতাকে, ওয়ামা, উতসুনোমিয়া, শোনি, ওটোমো, আসো এবং শিমাজু পরিবারগুলো, যাদের সকলেই কানটো এবং কিউশু অঞ্চলে বা তার কাছাকাছি কেন্দ্রীভূত ছিল তারা কানরেই কাউন্সিল ব্যবস্থায় অংশ নেয়নি এবং শাসন থেকে আধা-স্বাধীন ছিল (ভার্লি ১৯৬৭: ২৯; ভার্লি ১৯৬৭: ২৯)। হল ১৯৬৬: ১৯৯)। কিয়োতো থেকে সহজে নিয়ন্ত্রিত হয়নি এমন অঞ্চলে তাদের প্রধান অবস্থানের কারণে আশিকাগা দ্বারা তাদের মৌনভাবে স্বীকৃত এবং শুগো উপাধি দেওয়া হয়েছিল (হ্যারিংটন ১৯৮৫: ৬৭)।
=== কিউশু ===
১৩৭০ সালে শুরু হওয়া কিউশু অভিযানের পর কিউশু ডেপুটি (তান্দাই) সেই দ্বীপে মুরোমাচি শাসনের প্রতিনিধি হন। ইমাগাওয়া সাদায়ো (রিওশুন) কার্যকরভাবে দক্ষিণ দরবারের বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযানের বিচার করেছিলেন এবং শিমাজু উজিহিসার বাহিনীর বিরুদ্ধে তার আক্রমণ চালিয়ে যান, প্রক্রিয়াটিতে স্থানীয় কিউশু কোকুজিনের সমর্থন অর্জন করেছিলেন (হ্যারিংটন ১৯৮৫: ৮৫-৬)। সাদায়োর মতো ডেপুটিরা তাদের নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে মুরোমাচির প্রতিনিধি ছিলেন, এমনকি যখন তারা স্থানীয় সামুরাইকে করদের পুরো ক্ষমতা অহংকার করেছিলেন। উদাহরণস্বরূপ, ১৩৭৭ সালে সাদায়ো এবং একষট্টি জন স্থানীয় সামুরাইয়ের সমন্বয়ে একটি সামুরাই জোট (ইক্কি) এর মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। চুক্তিতে শর্ত দেওয়া হয়েছিল, জোটের সদস্যদের মধ্যে সমস্ত বিরোধ কিউশু ডেপুটির কাছে নিয়ে যাওয়া হবে, যখন জোটের সদস্য এবং ডেপুটির মধ্যে বিরোধগুলো কিয়োতোর মুরোমাচি শাসনে নিয়ে যাওয়া হবে (হ্যারিংটন ১৯৮৫: ৮৭)। কিউশু ডেপুটি ছিলেন একজন মধ্যস্থতাকারী ব্যক্তিত্ব যিনি শাসকদের স্বার্থ এবং তার এখতিয়ারাধীন স্থানীয় অঞ্চলের স্বার্থকে একত্রিত করেছিলেন। স্বাধীনতার প্রলোভনের কারণে এটি একটি অনিশ্চিত অবস্থান ছিল। তবে যে কোনও কারণেই হোক না কেন, মুরোমাচি শাসন পুরো জাতির উপর তাদের সরাসরি নিয়ন্ত্রণ প্রসারিত করেনি এবং তাই জবরদস্তিমূলক ও মধ্যস্থতাকারী যন্ত্রের মাধ্যমে এই অঞ্চলের শুগো প্রভু এবং সামুরাইকে প্রভাবিত করার জন্য তাদের প্রতিনিধি হিসাবে কাজ করার জন্য কিউশু ডেপুটির মতো নিয়োগকারীদের উপর নির্ভর করতে এসেছিল।
=== কান্তো ===
চতুর্দশ শতাব্দীর শেষের দিকে, কানটো অঞ্চলটি শক্তিশালী যোদ্ধা পরিবারগুলোর দ্বারা আধিপত্য ছিল। এর মধ্যে উসুগিরা ছিল সবচেয়ে শক্তিশালী। তারা তাদের নিজস্ব স্বার্থ এগিয়ে নেওয়ার জন্য এই অঞ্চলের পরিবারগুলোর মধ্যে ছড়িয়ে পড়া লড়াইয়ের সুযোগ নিতে সক্ষম হয়েছিল। ১৩৬৮ সালে উৎসুনোমিয়া পরিবার মুরোমাচি শাসনের কামাকুরা সদর দফতরের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছিল। কারণ তারা উয়েসুগির কাছে তাদের শুগো পোস্ট হারিয়েছিল। উসুগি পরিবার তাদের এখতিয়ারের অধীনে শুগো পোস্ট সংগ্রহ করে এবং অন্যান্য পরিবারের ব্যয়ে কান্টো অঞ্চলে করদ রাজ্যগুলোর ঘিরে ফেলে তাদের প্রভাব প্রসারিত করতে সক্ষম হয়েছিল (হ্যারিংটন ১৯৮৫: ৮২-৩)। কেউ একটি তত্ত্ব এগিয়ে নিতে পারে যে কান্টো অঞ্চলটি কিয়োতো থেকে আধা-স্বাধীন হয়ে উঠেছে এবং উসুগি সমর্থনের কারণে মুরোমাচি শাসনের কামাকুরা সদর দফতর বিদ্যমান ছিল। উয়েসুগি পরিবার তাদের অনাকাঙ্ক্ষিত অবস্থানের কারণে কান্টো কানরেই পদে তাদের নিয়োগের মাধ্যমে মুরোমাচি সরকার কর্তৃক আইনত স্বীকৃত হয়েছিল।
মুরোমাচি শাসনের কামাকুরা সদর দফতর কিউশু ডেপুটি (তান্দাই) এর মতোই কাজ করেছিল: এটি আঞ্চলিক মধ্যস্থতাকারী অফিসে পরিণত হয়েছিল যার মাধ্যমে শাসনের আদেশ বহির্মুখী কানটো অঞ্চলে প্রেরণ করা হয়েছিল। উপরে দেখা বাস্তবে কান্টো উসুগির মতো শক্তিশালী পরিবার দ্বারা আধিপত্য ছিল। ক্রমবর্ধমানভাবে, কামাকুরা সদর দফতর মুরোমাচি শাসন থেকে স্বাধীন হয়ে ওঠে এবং সমস্ত প্রয়োজনীয় উদ্দেশ্যে আঞ্চলিক বিরোধ, আঞ্চলিক কর আরোপের যত্ন নেয় এবং কিয়োতোর মুরোমাচি সরকারের ন্যূনতম উল্লেখ সহ কান্টোতে শুগো প্রভুদের সাথে সম্পর্ক গড়ে তোলে - যদিও জায়গীর নিশ্চিত করার অধিকার এবং শুগো নিয়োগ অনুমোদনের অধিকার প্রযুক্তিগতভাবে কিয়োতোর হাতে রয়ে গেছে (হ্যারিংটন ১৯৮৫: ৮৩-৫)।
=== আশিকাগা শক্তির কেন্দ্রীকরণ এবং নানবোকু-চো যুদ্ধের সমাপ্তি: ১৩৭৯–১৩৯৯ ===
১৩৬০-এর দশকের গুরুত্বপূর্ণ দশকে একের পর এক প্রতিরোধের ক্ষেত্র মুরোমাচি শাসনের হাতে পড়েছিল: স্পষ্টতই, ওচি এবং ইয়ামানার মতো শক্তিশালী শুগো প্রভুরা নিজেদেরকে আধা-স্বাধীন প্রভু হিসাবে জমা দিয়েছিলেন; সময় যত গড়িয়েছে ততই দক্ষিণ দরবারের প্রতিরোধ আরও নিরর্থক হয়ে উঠেছে। সামরিকভাবে শাসনব্যবস্থা ১৩৬৬৬৬৬৬ সালে শুগো প্রভুদের তাদের নিজস্ব সহকর্মীদের একজনকে আক্রমণ করার আহ্বান জানাতে সক্ষম হয়েছিল, শোগুনাল নিয়ন্ত্রণে শুগোর ক্রমবর্ধমান অধীনতার দিকে ইঙ্গিত করে। কানরেই কাউন্সিল সিস্টেম তৈরি এবং বাকুফু আমলাতন্ত্রে শক্তিশালী শুগো পরিবারগুলোর ক্রমবর্ধমান অংশগ্রহণের সাথে হাত মিলিয়ে রাজকীয় দরবারের সাথে সম্পর্ক শাসনের বৈধ ভিত্তিকে আরও প্রশস্ত করেছিল। এই মূল বিকাশগুলো কেবল শোগুনাল নিয়ন্ত্রণ বাড়ানোর জন্যই নয়, শুগো প্রভু এবং অভিজাতদের স্বার্থকে শাসনের সাথে আরও ঘনিষ্ঠভাবে আবদ্ধ করার জন্য ব্যবহৃত হয়েছিল। [১৮] তবে ভৌগোলিকভাবে, মুরোমাচি শাসনের পরিধি সীমিত ছিল, কানটো এবং কিউশু অঞ্চলের এখতিয়ার আঞ্চলিক প্রতিনিধিদের কাছে অর্পণ করে এবং হনশুর কেন্দ্রীয় ও পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশগুলোর উপর কমবেশি সরাসরি নিয়ন্ত্রণ রেখেছিল।
১৩৭৯ সালে যোশিমিতসুর কর্তৃত্ব গ্রহণের পঞ্চাশ বছর পর মুরোমাচি শাসন দেশের অপ্রতিদ্বন্দ্বী সরকার হিসাবে তার সবচেয়ে শক্তিশালী পর্যায়ে প্রবেশ করেছিল। শোগুনের নিয়ন্ত্রণ বাড়ার সাথে সাথে শোগুন এবং শুগো প্রভুদের মধ্যে সংযোগ আরও শক্ত হয়েছিল। প্রধান যন্ত্র এবং তাদের প্রভাবগুলো যা শোগুনকে শুগো প্রভুদের উপর নিয়ন্ত্রণ প্রয়োগ করতে এবং জড়িত শাসনের বৈধতার ভিত্তিকে প্রশস্ত করতে সক্ষম করেছিল: ১) মুরোমাচি শাসন এবং রাজকীয় দরবারের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের ধারাবাহিকতা; ২) শুগো প্রভুদের লক্ষ্য করে বাধ্যতামূলক আবাসিক নীতি; ৩) শোগুণাল আর্মির (গোবাঁশু) অধিকতর উন্নয়ন; ৪) বেশ কয়েকটি শুগো প্রভুর জোট ব্যবহার করে শোগুনাল আধিপত্যের উত্থান। ৫) শাসকগোষ্ঠী কর্তৃক বাণিজ্যিক ও কৃষি রাজস্ব এবং করের ব্যবহার। এই সমস্ত পরিবর্তনগুলো কেন্দ্রীভূত শক্তির অব্যাহত প্রবণতার উদাহরণ দেয় যা শাসনের শক্তি বৃদ্ধি করেছিল। আশিকাগা এবং সাম্রাজ্যীয় দরবার
অধীনে যোশিমিতসু (সক্রিয় ১৩৭৯–১৪০৮) যিনি ইয়োরিয়ুকিকে বরখাস্ত করার পরে ক্ষমতার লাগাম ধরেছিলেন কানরেই, এই বিশেষ সংযোগের প্রভাবগুলো জাপানি ইতিহাসের অন্যতম উজ্জ্বল সময়কে উত্সাহিত করেছিল, স্থাপত্য ও সাংস্কৃতিক ফর্মগুলোর পরিপক্কতার জন্য বিখ্যাত যা তখন থেকে জাপানি সংস্কৃতির বৈশিষ্ট্যযুক্ত। রাজদরবার এবং এর সংস্কৃতির সাথে তাঁর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক এবং নতুন শিল্পের প্রতি তাঁর পৃষ্ঠপোষকতা সামরিক অভিজাতদের কাছে বিশেষত শুগো প্রভুদের মাধ্যমে এই সংস্কৃতি ছড়িয়ে দিতে সহায়তা করেছিল (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ৩১-৩২; গ্রসবার্গ ১৯৮১: ৩১-৩২)। কাওয়াই ১৯৭৭: ৭২)। শোগুন এবং রাজকীয় দরবারের মধ্যে এই সংযোগ উভয় প্রতিষ্ঠানে অতিরিক্ত মর্যাদা এনেছিল এবং শোগুনকে নাগরিক বৈধতা এবং সংস্কৃতির আভা দিয়েছিল যা পূর্ববর্তী কামাকুরা শাসনের অভাব ছিল।
দরবারের প্রতিষ্ঠানগুলোতে অংশ নিয়ে, শোগুন দরবারের সংস্কৃতির বেশিরভাগ পরিমার্জিত বিনোদনও গ্রহণ করেছিলেন। পূর্ব প্রাতিষ্ঠানিক সংযোগের ফলে সাংস্কৃতিক সাধনা এসেছিল। আদর্শিক ন্যায্যতার সাথে সংস্কৃতির আরও মিল রয়েছে: যেমনটি আমরা আগের বিভাগে দেখেছি, দরবারের সংস্কৃতির বেশিরভাগ অংশ যোদ্ধাদের কাছে অস্বীকার করা বৈধতা উপভোগ করেছিল।
=== বলপ্রয়োগের একচেটিয়া: বাধ্যতামূলক বাসস্থান ===
শোগুন-শুগো সম্পর্কের দিকে অগ্রসর হয়ে, ১৩৮০-এর দশকে কানরেই কাউন্সিল ব্যবস্থাটি যোশিমিতসু দ্বারা শক্তিশালী করা হয়েছিল যখন তিনি পশ্চিম ও মধ্য শুগো প্রভুদের কিয়োতোতে বাসস্থান নিতে রাজি করেছিলেন। এমনকি তিনি ১৩৮৯ সালে ওউচি ইয়োশিহিরোর সাথে দেখা করতে গিয়েছিলেন এবং তার তথাকথিত তীর্থযাত্রার সময় তাকে কিয়োতোতে বাস করতে রাজি করান। এই সার্কিটগুলো তিনি যে প্রদেশগুলোতে ভ্রমণ করেছিলেন সেগুলোর মাধ্যমে তাঁর শক্তি প্রদর্শন করতে ব্যবহৃত হয়েছিল (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ২৯-৩০)। যোশিমিতসু যে বাধ্যতামূলক আবাসিক নীতি চালু করেছিলেন তা ছিল প্রধান জবরদস্তিমূলক নীতি যা কানরেই কাউন্সিল ব্যবস্থাকে সহায়তা করেছিল এবং শোগুনকে শুগো প্রভুদের চারপাশে তার খপ্পর শক্ত করতে সক্ষম করেছিল। রাজধানী শহর ছেড়ে যাওয়ার অনুমতি খুব কমই শুগো প্রভুকে দেওয়া হয়েছিল: এটি কেবল সিনিয়র করদ রাজ্য কাউন্সিলে আলোচনার পরে মঞ্জুর করা হয়েছিল। এমনকি প্রাদেশিক বিদ্রোহ বা দক্ষিণ দরবারের গেরিলা কার্যকলাপের ক্ষেত্রে অনুমতি দেওয়া হলেও, উপযুক্ত জিম্মিদের কিয়োতোতে রেখে দেওয়া হয়েছিল। যদি শুগো প্রভু অনুমতি ছাড়াই চলে যান তবে এটি রাষ্ট্রদ্রোহের সমতুল্য হিসাবে দেখা হত (কাওয়াই ১৯৭৭: ৬৮-৯; তনুমা ১৯৭৬: ১৩)।
কান্তো এবং কিউশু শুগোকে কিয়োতোতে বাধ্যতামূলক বসবাসের এই আদেশ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল। যাইহোক, মুরোমাচি শাসনের কামাকুরা সদর দফতর কান্টো শুগো প্রভুদের ক্ষেত্রে অনুরূপ নীতি প্রবর্তন করেছিল এবং তাদের কামাকুরায় প্রাসাদ প্রতিষ্ঠা করতে বাধ্য করেছিল যেমন পশ্চিম ও কেন্দ্রীয় শুগো প্রভুরা কিয়োতোতে প্রাসাদ তৈরি করেছিল (কাওয়াই ১৯৭৭: ৬৮)। কিয়োতোতে ম্যানশন বিল্ডিং ফ্যাশনেবল হয়ে ওঠে এবং শেষ পর্যন্ত কিউশুর শিমাজুর মতো শুগো প্রভুদের অন্তর্ভুক্ত করে, যিনি কিয়োতোতে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যদিও তার এটি করার প্রয়োজন ছিল না। শুগো প্রভুদের সত্যিই এই বিষয়ে খুব কম পছন্দ ছিল। তারা হয় কিয়োতোতে বাস করত অথবা শাসকগোষ্ঠীর বিশ্বাসঘাতক হিসাবে চিহ্নিত হয়েছিল। কানরেই কাউন্সিল সিস্টেমের মতো প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি, বাধ্যতামূলক আবাসিক নীতির জাতীয় দৃষ্টিকোণ থেকে এবং প্রাদেশিক দৃষ্টিকোণ থেকে উভয়ই অগণনীয় প্রভাব ছিল। প্রারম্ভিকদের জন্য, শুগো প্রভুদের শক্তি এই নীতি দ্বারা মারাত্মকভাবে সীমাবদ্ধ ছিল: তাদের চলাচলের স্বাধীনতা অবরুদ্ধ করা হয়েছিল। দ্বিতীয়ত, পঞ্চদশ শতাব্দীর দ্বিতীয় চতুর্থাংশে সময় অতিবাহিত হওয়ার সাথে সাথে প্রদেশগুলোতে প্রকৃত শক্তি শুগো প্রভুদের কাছ থেকে দূরে সরে যায় এবং ডেপুটি শুগো (শুগো-দাই) এবং প্রদেশগুলোতে বসবাসকারী অন্যান্য স্বাধীন সামুরাই (কোকুজিন) এর উপর বিশ্রাম নেয়। সুতরাং, শুগো প্রভুদের দৃষ্টিকোণ থেকে বাধ্যতামূলক আবাসিক নীতি দীর্ঘমেয়াদী বিপর্যয় হিসাবে প্রমাণিত হয়েছিল (কাওয়াই ১৯৭৭: ৭৩)। ডেপুটি শুগোর নিয়োগের প্রয়োজন ছিল বাধ্যতামূলক আবাসিক নীতি যদি শুগো প্রভুরা প্রদেশগুলোতে তাদের ক্ষমতা বজায় রাখতে চায়। স্বল্পমেয়াদে, শাখা পরিবারের সদস্যদের এবং সামুরাই কোকুজিনকে ডেপুটি শুগো হিসাবে নিয়োগ দেওয়া এবং প্রদেশগুলোতে তাদের নিজস্ব প্রতিনিধি হিসাবে ব্যবহার করা ভালো কাজ করেছিল; কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে, শুগো প্রভুদের হাত থেকে ক্ষমতা তাদের ভাড়া করা লোকদের হাতে চলে যায়।
=== শোগুনাল আর্মি ===
ইয়োশিমিতসু সামরিক শক্তি প্রয়োগ করে শুগো প্রভুদের আনুগত্যে নামিয়ে আনতে দ্বিধা করেননি এই অজুহাতে যে তারা খুব শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। তিনি তাঁর উপর নির্ভরশীল প্রায় তিন হাজার যোদ্ধা নিয়ে পাঁচটি বিভাগ নিয়ে গঠিত একটি নতুন শোগুনাল সেনাবাহিনী (গোবাঁশু) একত্রিত করেছিলেন (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ১০৬-৭)। এই বাহিনীটি একটি শক্তিশালী অ্যারে ছিল, বিশেষত যখন তারা অন্যান্য শুগো প্রভুদের অবদানের দ্বারা বৃদ্ধি পেয়েছিল। শোগুনাল সেনাবাহিনীর গুরুত্ব পরিমাণের বাইরে চলে যায়। তবে এই বাহিনীটি যা প্রতিনিধিত্ব করে তার উপর আরও আঘাত করে: কোকুজিন সামুরাই দ্বারা গঠিত তার নিজস্ব করদ রাজ্যগুলোর সাথে শোগুনকে সরাসরি সংযুক্ত করে একটি পৃথক বাহিনী। শোগুনাল সেনাবাহিনী শুগো বাহিনীর উপর নজরদারি হিসাবে কাজ করেছিল। দ্বিতীয় অধ্যায়ে আমরা দেখেছি, প্রথম আশিকাগা শোগুন, তাকাউজি, সামুরাই স্টুয়ার্ডদের সাথে এস্টেটের জমিতে আবদ্ধ করে তাদের সাথে সম্পর্ক তৈরি করেছিল। প্রারম্ভিক মুরোমাচি সময়কালে, শোগুনের কমান্ডের অধীনে এই পৃথক করদ রাজ্য শ্রেণিবিন্যাস শুগো শক্তির উপর একটি গুরুত্বপূর্ণ চেক ছিল। আমরা দেখব এই পূর্ববর্তী সেনাবাহিনী যোশিমিতসুর শোগুনাল সেনাবাহিনী থেকে কীভাবে আলাদা ছিল।
শোগুনাল সেনাবাহিনীর দুটি উপাদান ছিল: শোগুনাল দেহরক্ষী (শিনইগুন) আশিকাগা শাখা পরিবারের সদস্য, শুগো আত্মীয় এবং শুগো শাখার পরিবারের সদস্য, শাসক কর্মকর্তাদের অন্যান্য পুত্র ও ভাই এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণভাবে, শক্তিশালী কোকুজিন নিয়ে গঠিত। সংখ্যায় (বড়জোর সাড়ে তিনশো পুরুষ), এই দলটি একটি সুসংহত এবং অনুগত সংস্থা ছিল, যে কোনও মূল্যে শোগুনের ব্যক্তিকে রক্ষা করতে প্রস্তুত ছিল (আর্নেসেন ১৯৮৫: ১০২)। এই ছোট্ট ব্যান্ডের চারপাশে শোগুনের বেশ কয়েকটি প্রত্যক্ষ করদ রাজ্য ছিল যা ১৩৩৬ সালে এর উত্সটি সন্ধান করেছিল, যখন শোগুন তাকাউজি অনেক সামুরাইকে বাড়ির করদ রাজ্য হিসাবে ঘিরে ফেলেছিল যারা সম্ভবত রিজার্ভ সেনাবাহিনী হিসাবে ব্যবহৃত হয়েছিল (গে ১৯৮৬: ৯৫-৬); শোগুনাল দেহরক্ষীর সদস্যদের সাথে সংযুক্ত বৃহত্তর সংখ্যক পরোক্ষ করদ রাজ্য সম্ভবত যোশিমিতসুর অধীনে শোগুনাল সেনাবাহিনীর বেশিরভাগ অংশ তৈরি করেছিল। এই শেষ পয়েন্টটি আর্নেসেন দ্বারা ভালভাবে চিত্রিত হয়েছে, যিনি গণনা করেছিলেন যে শোগুনাল দেহরক্ষীতে সরাসরি করদ রাজ্যের সংখ্যা ষোড়শ শতাব্দীর শেষের দিকে হোজো বংশের অধীনে তালিকাভুক্ত প্রত্যক্ষ করদ রাজ্যের সংখ্যা ষাট থেকে সত্তর শতাংশ ছিল (১৯৮৫: ১২৬)। এবং যদি প্রয়াত হোজো ওডাওয়ারা অভিযানে পঞ্চাশ হাজার সৈন্য মাঠে নামাতে সক্ষম হত। তবে সাড়ে তিনশো শোগুনাল দেহরক্ষী সহজেই তাদের নিজস্ব করদ রাজ্যগুলোর একত্রিত করতে পারত যা গ্রসবার্গ দাবি করেছেন যে তিন হাজার সৈন্য নিয়ে এসেছিল যা গ্রসবার্গ দাবি করেছিলেন যে ১৩৯১ এর মেইটোকু রাইজিং (১৯৮১: ১০৭)। শোগুনাল দেহরক্ষীর সৃষ্টি এবং অন্যান্য শোগুনাল করদ রাজ্যগুলোর উপর এই গোষ্ঠীর কেন্দ্রীয় অবস্থানই যোশিমিতসুর শোগুনাল সেনাবাহিনীকে তাকাউজির শোগুনাল করদ রাজ্য থেকে পৃথক করে। নতুন শোগুনাল সেনাবাহিনীর সাথে একটি শক্ত সংগঠন এবং এসপ্রিট ডি কর্পস আবির্ভূত হয়েছিল।
=== শক্তিশালী শুগোকে পরাজিত করতে শুগো জোটের উসকো ===
তবে যুদ্ধের ময়দানে কানরেই শ্রেণির শুগো প্রভুদের সাথে দেখা করতে এবং পরাজিত করার জন্য একা শোগুনাল সেনাবাহিনী পর্যাপ্ত ছিল না। তবে যোশিমিতসু যে ধরণের যুদ্ধ অনুশীলন করেছিলেন তার জন্য পুরোপুরি উপযুক্ত ছিল: একজন শুগো প্রভুকে পরিবারের সদস্যের বিরুদ্ধে এবং অন্যান্য শুগো প্রভুদের বিরুদ্ধে দাঁড় করানো। পূর্ববর্তী শোগুনের অধীনে উত্থিত নতুন শোগুনাল আধিপত্য, যোশিয়াকিরা, যোশিমিতসুর রাজনীতিতে আধিপত্য বিস্তার করতে এসেছিল। শোগুনাল প্রতিপত্তি অনানুষ্ঠানিকভাবে নির্দেশ দিয়েছিল যে কোনও একক শুগো প্রভু শোগুনের ক্রোধের শিকার না হয়ে ক্ষমতার একটি নির্দিষ্ট স্তর অতিক্রম করবেন না। এটি শুগো প্রভুদের নিজেদের স্বার্থেই ছিল যে তাদের নিজস্ব সহকর্মীদের কেউই বাকিদের উপর খুব বেশি শক্তিশালী এবং প্রভাবশালী হয়ে উঠবে না (ভার্লি ১৯৬৭: ৬৩-৬৪)।
এই নীতি অনুসরণ করে ১৩৮৯ সালে যোশিমিতসু মিনো, আইসে এবং ওওয়ারি প্রদেশের শুগো প্রভু টোকি ইয়াসুয়ুকিকে পরবর্তী প্রদেশটি এক আত্মীয়ের কাছে ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। ইয়াসুয়ুকি প্রত্যাখ্যান করেছিলেন এবং যোশিমিতসু ইয়াসুয়ুকির চাচাতো ভাই ইয়োরিমাসুকে তাকে আক্রমণ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। তিন বছর পরে ইয়াসুয়ুকি পরাজিত হন এবং ১৩৯১ সালে মিনো প্রদেশটি টোকি ইয়োরিমাসুকে ছেড়ে দেন (পাপিনোট ১৯৭২: ৬৫৯)। ইয়োশিমিতসুর কাছে যে প্রদেশটি ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল তা মিনো বা ওওয়ারি ছিল কিনা তা বিবেচ্য ছিল না যতক্ষণ না টোকি ইয়াসুয়ুকি কেন্দ্রীয় প্রদেশগুলোতে তার কিছু ক্ষমতা ছিনিয়ে নিয়েছিল।
১৩৯১ সালে মেইতোকু রাইজিং (রান) এর আগে, ইয়ামানা পরিবারের পশ্চিম ও মধ্য জাপানের এগারোটি প্রদেশ ছিল। এটি তাদেরকে দেশের সবচেয়ে শক্তিশালী শুগো পরিবারে পরিণত করেছিল। যোশিমিতসু তাদের আক্রমণ করার জন্য একটি অজুহাত খুঁজছিলেন। যখন ইয়ামানা মিতসুয়ুকি (যিনি ইজুমো, তাম্বা, হোকি এবং ওকি প্রদেশগুলোর উপর শুগো ছিলেন) ইজুমোতে রাজকীয় পরিবারের কিছু সম্পত্তি দখল করেছিলেন, যোশিমিতসু মিতসুয়ুকির বিরুদ্ধে অভিযানের পরিকল্পনা করার জন্য প্রাক্তন-কানরেই হোসোকাওয়া ইয়োরিয়ুকিকে স্মরণ করেছিলেন (পাপিনোট ১৯৭২: ৭৪৪)। ইয়ামানা শুগো প্রভু মিতসুয়ুকি এবং উজিকিও কিয়োতো আক্রমণ করেছিলেন, কিন্তু ওউচি যোশিহিরোর বাহিনীর সাথে কনসার্টে শোগুনাল সেনাবাহিনীর কাছে মারাত্মকভাবে পরাজিত হয়েছিলেন (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ৩০,১০৭; গ্রসবার্গ ১৯৮১: ৩০,১০৭; গ্রসবার্গ ১৯৮১: ৩০,১০৭)। আর্নেসেন ১৯৭৯: ৮২)। শোগুনের বাহিনী গঠিত অন্যান্য শুগো দলগুলোর প্রত্যেকের সংখ্যা তিন শতাধিক ঘোড়সওয়ারের বেশি ছিল না (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ১০৭)। অভিযানের পর ইয়ামানাকে কেবল দুটি প্রদেশ বরাদ্দ করা হয়েছিল, তাজিমা এবং হকি, এবং বিদ্রোহের নেতাদের হত্যা করা হয়েছিল, যুদ্ধে উজিকিও এবং ১৩৯৫ সালে হত্যার মাধ্যমে মিতসুইউকি (পাপিনোট ১৯৭২: ৭৪৪)। ১৩৯৯ সালে এক শুগো প্রভুর বিরুদ্ধে আরেক শুগো লর্ডের এই দাঁড় তুঙ্গে ওঠে। হাস্যকরভাবে, এবার লক্ষ্যবস্তু ছিল ওউচি ইয়োশিহিরো, যিনি ইয়ামানার বিরুদ্ধে প্রচারণায় শাসকদের ভালভাবে সেবা করেছিলেন। যোশিহিরোকে ১৩৯৭ সালে শোনি আক্রমণ করার আদেশ দেওয়া হয়েছিল যা তিনি করেছিলেন, প্রক্রিয়াটিতে তার ভাইকে হারিয়েছিলেন। পরে তিনি যোশিমিতসুর বাইজেন্টাইন দ্বিচারিতা সম্পর্কে শিখেছিলেন: শোনিকেও ওচি আক্রমণ করার আদেশ দেওয়া হয়েছিল। এই দ্বিচারিতায় ক্ষুব্ধ হয়ে এবং শোগুন যখন তাকে কিয়োতোতে ডেকে পাঠায় তখন তার জীবনের ভয়ে তিনি অবাধ্য হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ৩২)। অবাক হওয়ার কিছু নেই যে, শাসকগোষ্ঠী তাকে শত্রু ঘোষণা করেছিল। এ সাকাইয়ের যুদ্ধ, যোশিমিতসু পাঁচটি শুগো প্রভুর বাহিনী, হোসোকাওয়া, আকামাতসু, কিয়োগোকু, শিবা এবং হাতাকিয়ামার বাহিনী সহ শহরে আগুন লাগিয়ে যোশিহিরোর প্রতিরক্ষামূলক কাজগুলোকে অভিভূত করেছিল (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ৩৩; গ্রসবার্গ ১৯৮১: ৩৩)। সানসোম ১৯৬১: ১৪৯)। যোশিমিতসুর নেতৃত্বে মিত্র বাহিনী ওচির ৫,০০০ যোদ্ধার বিপরীতে ৩০,০০০ যোদ্ধা ছিল: যোশিহিরো কেবল যুদ্ধে অভিভূত হয়েছিলেন যেখানে তিনি আত্মহত্যা করেছিলেন (আর্নেসেন ১৯৭৯: ৮২,৮৬)। এই পূর্ববর্তী প্রতিটি উদাহরণ যেমন ব্যাখ্যা করে, শোগুনাল আধিপত্য খুব কার্যকর হয়ে ওঠে। এটি শুগো প্রভুদের সহকর্মীদের আক্রমণ ও ধ্বংস করে বিভক্ত করার জন্য ব্যবহৃত হয়েছিল। শোগুনাল আধিপত্য শোগুনাল সেনাবাহিনীর সাথে তাদের বাহিনীকে একত্রিত করতে শুগো প্রভুদের সহযোগিতা ছাড়া সফল হত না। তবে শোগুনাল সেনাবাহিনী এবং শাসকগোষ্ঠীর অন্যান্য ব্যয় নির্বাহের জন্য অর্থ না থাকলে এই জবরদস্তিমূলক নীতি অকল্পনীয় ছিল।
=== রাজস্ব ===
চতুর্দশ এবং পঞ্চদশ শতাব্দীর শেষের দিকে কিয়োতো অর্থনৈতিক কার্যকলাপের জন্য একটি উজ্জ্বল কেন্দ্র ছিল। শোগুন যোশিমিতসুর অধীনে উদ্ভূত বাধ্যতামূলক আবাসিক নীতির সাথে, শুগো প্রভুরা তাদের করদ রাজ্য এবং চাকরদের সাথে শহরের বিশিষ্ট জনগোষ্ঠীতে যুক্ত হয়েছিল যার মধ্যে অভিজাত, রাজকীয় দরবার এবং মুরোমাচি সরকার অন্তর্ভুক্ত ছিল। এটি বিভিন্ন পণ্য ও পরিষেবাদির জন্য একটি বিশাল বাজারে অনুবাদ করেছিল যা শহরের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে উত্সাহিত করেছিল। রাজধানীতে বসবাসকারী শোগুন এবং শুগো প্রভু উভয়ের জন্যই এই বৃদ্ধি গুরুত্বপূর্ণ ছিল: তারা ধারাবাহিকভাবে মহাজনদের সম্পদ (সাকায়া-দোসো) ব্যবহার করেছিল। শোগুন এমনকি তাদের শহরে কর আদায়কারী হিসাবে নিয়োগ করেছিল (কাওয়াই ১৯৭৭: ৭১; গ্রসবার্গ ১৯৮১: ৩৭,৭৮-৮০)। পূর্ববর্তী কামাকুরা শাসন থেকে মুরোমাচি শাসনকে এত আলাদা করে তুলেছিল তার আয়ের ভিত্তি। এর বেশিরভাগ রাজস্ব তার জমি বেস ছাড়াও বাণিজ্যিক কর থেকে এসেছিল।
প্রশাসন বোর্ড (ম্যান্ডোকোরো) মুরোমাচি শাসনের রাজস্ব সম্পর্কিত বিষয়গুলোর জন্য ক্লিয়ারিং হাউস হিসাবে ব্যবহৃত হত। এটি প্রধান আমলাতান্ত্রিক অঙ্গ ছিল যা করের উদ্দেশ্যে শহরের বিভিন্ন বাণিজ্যিক গোষ্ঠীর সাথে শাসনকে সংযুক্ত করেছিল। ১৩৯৩ সালে শাসন সরাসরি মহাজনদের উপর কর আরোপের অধিকারকে বৈধ করে (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ৭৮,৯৫-৬)। কিয়োতোতে মূল্যায়ন করা বাণিজ্যিক করগুলো নতুন নগর ভিত্তিক মুরোমাচি শাসনের ভিত্তি হয়ে ওঠে এবং সিদ্ধান্তমূলকভাবে শাসনব্যবস্থার প্রকৃতিকে কেবলমাত্র জমিদার সম্পত্তির উপর ভিত্তি করে একটি শাসনব্যবস্থায় পরিবর্তন করে আংশিকভাবে বাণিজ্য ভিত্তিক একটি শাসনব্যবস্থায় পরিণত করে।
ঐতিহ্যবাহী কৃষিভিত্তিক রাজস্ব তিনটি প্রধান উৎস থেকে আসত: শোগুনাল এস্টেট থেকে, শোগুনাল সামন্ত থেকে এবং শুগো প্রভুদের বিরুদ্ধে নির্ধারিত কর থেকে। আশিকাগা শোগুনদের অবতরণ ঘাঁটি তাদের উত্তরসূরিদের তুলনায় নগণ্য ছিল, টোকুগাওয়া; তবে কিয়োতো এবং কান্টো অঞ্চলের মধ্যে প্রায় দুই শতাধিক শোগুনাল এস্টেট (গরিওশো) ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল এবং এই এস্টেটগুলো থেকে উত্তোলিত রাজস্ব উল্লেখযোগ্য ছিল (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ৭০-৩)। তদুপরি, শোগুনাল এস্টেট এবং শোগুনাল সেনাবাহিনীর মধ্যে সংযোগ নির্ধারক ছিল: সেনাবাহিনীতে দায়িত্ব পালনকারী কিছু পুরুষ শোগুনের ব্যক্তিগত সম্পত্তির পরিচালকও ছিলেন (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ১১২)। তদুপরি, অনেক স্থানীয় সামুরাই সরাসরি শাসনকে (কিয়োসাই) ভূমি কর প্রদান করেছিল যা তারা হাউস করদ রাজ্য (গোকেনিন) হিসাবে উপভোগ করেছিল, প্রক্রিয়াটিতে শুগো ট্যাক্স সংগ্রহকারীদের কাছ থেকে টিকা দেওয়া হয়েছিল (গ্রসবার্গ ১৯৮১; গ্রসবার্গ ১৯৮১)। উপরন্তু, শুগো প্রভুদের সরাসরি কর আদায় করা হয়েছিল (শুগো শুসেন) তারা কতগুলো প্রদেশ পরিচালনা করেছিল সে অনুসারে। যখনই কোনও বিল্ডিং তৈরি বা ঠিক করার জন্য ছিল এবং যখন শোগুনের বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য নগদ অর্থের প্রয়োজন হয়েছিল তখন শাসকরা এটি মূল্যায়ন করেছিল (কাওয়াই ১৯৭৭: ৭১; কাওয়াই ১৯৭৭: ৭১)। গ্রসবার্গ ১৯৮১: ৭৪)। কিয়োতো এবং ইয়ামাশিরো প্রদেশের উদীয়মান বাজার অর্থনীতির কারণে মুরোমাচি শাসনের রাজস্বের উত্সগুলো কামাকুরা শাসনের চেয়ে অনেক বেশি পরিমাণে বৈচিত্র্যময় ছিল। এটি মহাজনদের কাছ থেকে বাণিজ্যিক রাজস্ব আদায় হিসাবে অভিনব আকারে এসেছিল (সাকায়া দোসো): মুরোমাচি আমলাতন্ত্রের ক্ষমতা কাঠামো কার্যকরভাবে কিয়োতো শহরটি দখল করার পরে একটি কর মূল্যায়ন করা হয়েছিল।
== দক্ষিণ দরবারের সম্রাট ==
* সম্রাট গো-দাইগো「後醍醐天皇」(১২৮৮–১৩৩৯, রাজত্বকাল ১৩১৮–১৩৩৯)
* সম্রাট গো-মুরাকামি「後村上天皇」(১৩২৮–১৩৬৮, রাজত্বকাল ১৩৩৯–১৩৬৮))
* সম্রাট চোকেই「長慶天皇」((১৩৪৩–১৩৯৪, রাজত্বকাল ১৩৬৮-১৩৮৩)
* সম্রাট গো-কামেয়ামা「後亀山天皇」(১৩৪৭-১৪২৪, রাজত্বকাল ১৩৮৩-১৩৯২)
== উত্তর দরবারের সম্রাট ==
* উত্তর আশিকাগা দাবিদার ১: সম্রাট কোগন「光厳天皇」(১৩১৩–১৩৬৪, রাজত্বকাল ১৩৩১–১৩৩৩)
* উত্তর আশিকাগা দাবিদার ২: সম্রাট কোমিয়ো「光明天皇」(১৩২২–১৩৮০, রাজত্বকাল ১৩৩৬–১৩৪৮)
* উত্তর আশিকাগা দাবিদার ৩: সম্রাট সুকো「崇光天皇」(১৩৩৪–১৩৯৮, রাজত্বকাল ১৩৪৮–১৩৫১)
* অন্তর্বর্তীকাল, নভেম্বর ২৬, ১৩৫১ থেকে ২৫ সেপ্টেম্বর, ১৩৫২ পর্যন্ত
* উত্তর আশিকাগা দাবিদার ৪: সম্রাট গো-কোগন「後光厳天皇」(১৩৩৮–১৩৭৪, রাজত্বকাল ১৩৫২–১৩৭১)
* উত্তর আশিকাগা দাবিদার ৫: সম্রাট গো-এন'ইউ「後円融天皇」(১৩৫৯–১৩৯৩, রাজত্বকাল ১৩৭১–১৩৮২)
ai8lp210pvtqlsuj82igtt5hvvm8q92
84434
84433
2025-06-16T18:19:19Z
NusJaS
8394
/* রাজস্ব */
84434
wikitext
text/x-wiki
নানবোকু-চো যুগ (南北朝時代, নানবোকু-চো জিদাই) ১৩৩৬ সাল থেকে ১৩৯২ সাল পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। এটি মুরোমাচি যুগের একটি অংশ ছিল।
এই সময়ে দুটি সাম্রাজ্যীয় দরবার ছিল। এরমধ্যে কিয়োতোতে আশিকাগা তাকাউজি প্রতিষ্ঠা করেছিল উত্তর সাম্রাজ্যীয় দরবার; এবং সম্রাট গো-দাইগো ইয়োশিনোতে প্রতিষ্ঠা করেছিল ক্ষিণ সাম্রাজ্যীয় দরবার।
মতাদর্শগতভাবে, এই দুই দরবার প্রায় পঞ্চাশ বছর ধরে সংঘর্ষে লিপ্ত ছিল। তবে ১৩৯২ সালে দক্ষিণ দরবার উত্তর দরবারের কাছে আত্মসমর্পণ করে। বাস্তবে উত্তর রাজবংশ ছিল আশিকাগা শোগুনদের নিয়ন্ত্রণাধীন এবং তাদের বাস্তবিক স্বাধীনতা খুবই সীমিত ছিল।
উনবিংশ শতাব্দী থেকে শুরু করে দক্ষিণ দরবারের সম্রাটদের জাপানের বৈধ সম্রাট হিসেবে গণ্য করা হয়। এর পেছনে কিছু। কারণ ছিল—দক্ষিণ দরবারের হাতে জাপানি সম্রাজ্ঞী রাজমুকুট ও প্রতীকগুলোর নিয়ন্ত্রণ, এবং কিতাবাতাকে চিকাফুসার লেখা ''জিন্নো শোতোকি'' ছিল। এটি তাদের পরাজয়ের পরেও দক্ষিণ দরবারের বৈধতাকে সমর্থন করেছিল।
এই সময়কালের ঘটনাগুলোর প্রভাব এখনও আধুনিক জাপানের প্রচলিত দৃষ্টিভঙ্গিতে সম্রাট ব্যবস্থা (তেননো সেইকা) প্রভাবশালী হতে থাকে। রাষ্ট্রীয় শিন্তো ধর্মের প্রভাবে ১৯১১ সালের ৩ মার্চ জারিকৃত এক সাম্রাজ্যীয় ডিক্রিতে এই সময়ের বৈধ রাজাদের দক্ষিণ দরবারের সদস্য বলেই ঘোষণা করা হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর, কুমাজাওয়া হিরোমিচি থেকে শুরু করে একদল দাবিদার নিজেদের দক্ষিণ দরবার থেকে বংশোদ্ভূত দাবি করে এবং উত্তর দরবার থেকে আসা রাজবংশের আধুনিক সাম্রাজ্যীয় ধারার বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে।
১৩৩৩ সালে কামাকুরা শোগুনাতের পতন এবং ১৩৩৬ সালে কেম্মু পুনর্গঠনের ব্যর্থতা নতুন শাসনব্যবস্থার বৈধতা নিয়ে সংকট তৈরি করে। পাশাপাশি, অভিজাত এবং যোদ্ধাদের আয়ের ভিত্তি জমিদারি ব্যবস্থায় (শোয়েন) কাঠামোগত পরিবর্তন সমাজের বিভিন্ন শ্রেণির অবস্থান পরিবর্তনে বড় ভূমিকা রাখে। নানবোকু-চো যুদ্ধের মধ্য দিয়ে যে মুরোমাচি শাসন ব্যবস্থা উদ্ভূত হয়, তা যোদ্ধা শ্রেণির অর্থনৈতিক ভিত্তিকে প্রসারিত করে। তবে অভিজাত মালিকদের ক্ষমতা হ্রাস করে। এটি কামাকুরা বাকুফুর সময় থেকেই শুরু হয়েছিল।
== কামাকুরা বাকুফুর পতন ==
গৃহযুদ্ধের সূচনায় অবদান রাখা প্রধান। কারণ ছিল—হোজো পরিবার ও অন্যান্য যোদ্ধা গোষ্ঠীর মধ্যে ক্রমবর্ধমান বিরোধ। এটি ১২৭৪ এবং ১২৮১ সালের মঙ্গোল আক্রমণের পর থেকে বৃদ্ধি পায়। এছাড়াও আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ছিল কেম্মু পুনর্গঠনের ব্যর্থতা। এটি সম্রাট-অনুগামী ও আশিকাগা গোষ্ঠীর সমর্থকদের মধ্যে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করে।
১৩শ শতাব্দীর শেষদিকে হোজো-নেতৃত্বাধীন কামাকুরা শাসনের প্রতি যোদ্ধাদের মধ্যে অসন্তোষ বৃদ্ধি পায়। এই অসন্তোষের মূল। কারণ ছিল, হোজোদের অন্যান্য যোদ্ধা পরিবারগুলোর ওপর ক্রমবর্ধমান আধিপত্য বিস্তার। বিশেষ করে হোজো তোকিমুনের (১২৬৮–১২৮৪) শাসনকালে মঙ্গোল সংকটের সময় এই কেন্দ্রীয়করণ আরও প্রকট হয়। সে সময়ে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটে: হোজো পরিবারে রাজ্য পরিষদে নিয়োগ বৃদ্ধি পায়; হোজোদের ব্যক্তিগত পারিবারিক পরিষদই প্রধান সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী সংস্থা হয়ে ওঠে; এবং হোজোর সরাসরি অধীনস্থ করদ রাজ্যগুলো ক্রমবর্ধমানভাবে শুগো (প্রাদেশিক গভর্নর) হিসেবে উন্নীত করা হয়। এর ফলে তারা কেবলমাত্র নিজেদের পরিবারের সদস্য ও সরাসরি অধীনস্ত করদ রাজ্যগুলোর অন্তর্ভুক্ত করার ফলে বৃহত্তর ভিত্তির সমর্থন হারায়। ১৩৩১ সালে হোজোর বিরুদ্ধে এক জোট গঠিত হলে তার শাসনব্যবস্থার পতন ঘটাতে মাত্র দুই বছর সময় লেগেছিল।
ত্রয়োদশ শতাব্দীর শেষের দিকে যোদ্ধাদের মধ্যে হোজো-নেতৃত্বাধীন কামাকুরা শাসনের প্রতি অসন্তোষ দেখা দেয়। এই বিরক্তি শাসনের মধ্যে অন্যান্য যোদ্ধা পরিবারের উপর হোজোর প্রভাবের কারণে ঘটেছিল। হোজো টোকিমুনের রাজত্বকালে (১২৬৮-১২৮৪ খ্রিষ্টাব্দ) ক্ষমতার এই কেন্দ্রীকরণের পেছনে মঙ্গোল আক্রমণ মূল। কারণ ছিল। সঙ্কটের সময়, তিনটি জিনিস ঘটেছিল: হোজো পরিবারের কাউন্সিল অফ স্টেটে নিয়োগ বেড়েছে; হোজো প্রাইভেট ফ্যামিলি কাউন্সিল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী সংস্থা হয়ে ওঠে। হোজোর সরাসরি শুগো পোস্টে উন্নীত হয়েছিল। তারা মূলত সমর্থনের বিস্তৃত ভিত্তির ব্যয়ে কেবল হোজো পরিবারের সদস্য এবং সরাসরি অন্তর্ভুক্ত করে তাদের নির্বাচনী এলাকাগুলোকে সংকীর্ণ করেছিল। ১৩৩১ সালে যখন হোজোর বিরুদ্ধে একটি জোট গঠিত হয়,
তখন কৃষিভিত্তিক সমাজে সম্পদের মূল উৎস ছিল জমি, এবং মধ্যযুগীয় জাপানেও এর ব্যতিক্রম ছিল না। প্রকৃতপক্ষে, যোদ্ধা শ্রেণির মধ্যে বেশিরভাগ অসন্তোষের মূল। কারণ ছিল জমি। মিনামোতো গোষ্ঠীর উত্থানের পর থেকে যুদ্ধজয়ের পুরস্কার হিসেবে ভূমি দান ছিল যোদ্ধাদের জন্য একটি স্বীকৃত প্রথা। কিন্তু মঙ্গোল আক্রমণ ছিল ব্যতিক্রম,। কারণ এটি বিদেশী শত্রুর বিরুদ্ধে দেশরক্ষার যুদ্ধ ছিল, অন্য কোনও যোদ্ধা গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে নয়। ফলে বিদেশী শত্রুর পরাজয়ের পরে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার হিসেবে তুলে দেওয়ার মতো কোনও জমি ছিল না। এই পরিস্থিতি বিশেষভাবে কঠিন ছিল সেই যোদ্ধাদের জন্য, যারা বীরত্বের সাথে যুদ্ধ করেছিল এবং জমির জন্য হোজো শাসকদের কাছে আবেদন করেছিল। চতুর্দশ শতাব্দীর শুরুতেই এই অসন্তোষ নতুন যে কোনও শাসন ব্যবস্থার ওপর প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি করেছিল। এই শ্রেণিকে সন্তুষ্ট না করতে পারলে নতুন শাসনের স্থায়িত্ব ছিল অনিশ্চিত।
নানবোকু-চো যুদ্ধ ছিল একটি মতাদর্শগত লড়াই—একদিকে ছিল যারা সম্রাটের পুনঃস্থাপন চেয়েছিল, অন্যদিকে ছিল যারা কামাকুরা শাসনের আদলে একটি নতুন যোদ্ধা শাসন প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিল। যেন জাপানের ইতিহাসের পূর্ববর্তী হেইয়ান ও কামাকুরা যুগের মধ্যে মতাদর্শগত সংঘর্ষ ঘটছিল। কিতাবাতাকে চিকাফুসার মতো অভিজাত যোদ্ধারা বুঝতে পারতেন যে পুনর্গঠনে যোদ্ধাদের অংশগ্রহণ প্রয়োজন, তবে মতাদর্শগত স্তরে তাকাউজির সঙ্গে তার তীব্র মতভেদ ছিল, যা ভবিষ্যতের নেতৃত্বেও প্রভাব ফেলেছিল। যুদ্ধের মধ্যেই তৈরি হয় নতুন মুরোমাচি শাসন, যা কেম্মু পুনর্গঠনের ব্যর্থতার সরাসরি ফলাফল ছিল।
== অনুগত সম্পর্ক ও মুরোমাচি বাকুফুর উত্থান ==
উভয় পক্ষের মধ্যে তীব্র লড়াই প্রায় ত্রিশ বছর ধরে চলে। এর পর নতুন যোদ্ধা শাসনের সমর্থকরা আধিপত্য লাভ করে। আশিকাগা তাকাউজি ক্ষমতা কেন্দ্রীকরণের জন্য তিনটি মূল নীতি অনুসরণ করেন:
১. হানজেই বা অর্ধেক কর নীতি, যা জমিদার জমি ভাগ করে দেয়;
২. সামুরাই অনুগতদের (গোকেনিন) সঙ্গে অনুগত্য সম্পর্ক;
৩. শুগো প্রভুদের বাকুফু গভর্নর ও প্রাদেশিক সামন্ত হিসেবে ব্যবহার (এটি পরে বিস্তারিতভাবে আলোচিত)।
এই দুই কাঠামো—সামুরাই অনুগত্য ও শুগো নিয়ন্ত্রণ ১৩৫০-এর দশকে শাসন প্রতিষ্ঠার পর গড়ে ওঠে এবং শোগুনের ক্ষমতা নির্ধারণে মুখ্য ভূমিকা রাখে। প্রশাসনিক কাঠামোগুলো বোঝা কঠিন,। কারণ কান্নো বিশৃঙ্খলার পর প্রাথমিক প্রশাসনে ব্যাপক পরিবর্তন আসে। এগুলোর অধিকাংশই কিয়োতো ও ইয়ামাশিরো প্রদেশেই সীমাবদ্ধ ছিল।
=== কামাকুরা থেকে মুরোমাচি পর্যন্ত জমিদারি (শোয়েন) ব্যবস্থার বিবর্তন ===
হানজেই অর্ধ কর নীতিটি সরাসরি ও তীব্র: এটি এস্টেট জমিতে সামুরাই আক্রমণের বৈধতা স্বীকৃতি দেওয়ার একটি কঠোর নীতি ছিল। কিন্তু একই সঙ্গে এস্টেট বা জমিদারি ব্যবস্থার অস্তিত্ব রক্ষা করার নিশ্চয়তা দিয়েছিল।
এস্টেট সিস্টেম কীভাবে পরিবর্তিত হয়েছিল তা পরীক্ষা করার জন্য আমাদের প্রথমে কামাকুরা আমলের দিকে তাকাতে হবে। সামুরাই স্টুয়ার্ড (জিতো) এবং কামাকুরা শাসনের (১১৮৫-১৩৩৩ খ্রিষ্টাব্দ) মধ্যে করদ সম্পর্ক মধ্যস্থতাকারী ছিল। কারণ তারা সামুরাই স্টুয়ার্ডকে (জিতো) এমন একটি অবস্থানে রেখেছিল যেখানে তিনি একই সাথে কামাকুরা এবং কিয়োতো উভয়ের কাছেই জবাবদিহি করেছিলেন। সামুরাই হিসাবে নির্বাচিত হয়ে তাকে একটি কল্পিত আত্মীয়তার বন্ধনে তার বাড়ির সদস্য হিসাবে শোগুনের সাথে সরাসরি করদ সম্পর্কের মধ্যে রাখা হয়েছিল। স্টুয়ার্ড হিসাবে সামুরাই একজন শোগুনাল হাউসম্যান (গোকেনিন) এবং বিশ্বস্ত করদ রাজা হয়েছিলেন। তিনি এমন একটি এস্টেটের পরিচালনার ভার পেয়েছিলেন, যা আইনত কিয়োতোতে একজন আভিজাত্যের মালিকানাধীন ছিল (ভার্লি ১৯৬৭: ২২-৫)। এখানেই কামাকুরা করদ সম্পর্কের মধ্যস্থতাকারী প্রকৃতি রয়েছে। কামাকুরায় যোদ্ধা শাসনের সামন্ত হিসাবে তিনি সামরিক পরিষেবা এবং বকেয়া আকারে শোগুনের কাছে জবাবদিহি করেছিলেন। তবে একজন অভিজাতের মালিকানাধীন এস্টেটের পরিচালক হিসাবে তাকে পরবর্তীকালে খাজনা দিতে হয়েছিল। আমরা প্রথমে কামাকুরা করদ রাজ্য হিসাবে সামুরাই স্টুয়ার্ডের প্রকৃতি পরীক্ষা করব এবং তারপরে আশিকাগা তাকাউজির অধীনে উদ্ভূত করদ বন্ধনগুলো পরীক্ষা করব।
কামাকুরা শাসন ব্যবস্থার স্থায়িত্ব শাসকদের প্রভাবশালী যোদ্ধাদের পরিচালনার অধিকার (জিতো শিকি) এবং অভিজাত মালিকের খাজনা ও জমির মালিকানার অধিকারের গ্যারান্টির উপর নির্ভর করেছিল। সামুরাই স্টুয়ার্ডদের সাথে করদ সম্পর্কের মাধ্যমে, নতুন যোদ্ধা শাসনকে পুরানো এস্টেট সিস্টেমে স্থাপন করা হয়েছিল। প্রক্রিয়াটিতে আপস্টার্ট যোদ্ধা এবং অভিজাতদের মধ্যে সুপ্ত থাকা দ্বন্দ্বমূলক প্রবণতাগুলোর সেতুবন্ধন সৃষ্টি করেছিল।
যেসব সামুরাই স্টুয়ার্ডদের শোগুন বা হোজো রিজেন্টদের সাথে সরাসরি করদ সম্পর্ক ছিল, তারা হাউজকিপার (গোকেনিন) নামেও পরিচিত ছিল। কামাকুরা গোকেনিনের ঐতিহ্য একটি মর্যাদাপূর্ণ ঐতিহ্য ছিল এবং মুরোমাচি যুগে যা ঘটেছিল তার নজির স্থাপন করেছিল। ইয়োরিতোমো এবং হোজো রিজেন্টরা কেবল তাদের নিজস্ব গোকেনিনদের নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে উদ্বিগ্ন ছিল। তারা সচেতনভাবে তাদের নিজস্ব করদ রাজ্যগুলোর জমি বিরোধের মামলা শোনার মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল এবং তাদের অনুসারীদের স্টুয়ার্ডশিপ অধিকারকে পুরস্কৃত করেছিল। এটি অন্যান্য গোষ্ঠীর অন্যান্য বিরোধগুলো নাগরিক প্রশাসন দ্বারা যত্ন নেওয়া যেতে দেয়। এই নজিরটি আশিকাগা শোগুনরা অনুসরণ করেছিল।;। কারণ তারা মুরোমাচি আমলে শুগো প্রভুদের আক্রমণের বিরুদ্ধে তাদের দেশের করদ রাজ্যগুলোর স্বার্থ রক্ষার চেষ্টা করেছিল।
শুগোকে কেবল প্রদেশগুলোর প্রভু হিসাবে আরও ক্ষমতা দেওয়া হয়নি। তাকাউজি এস্টেট জমি বিভক্ত করার জন্য যে অর্ধ কর নীতি (হানজেই) ব্যবহার করেছিলেন তা সামুরাই যোদ্ধাদের মালিকানাধীন জায়গীরের সংখ্যা বহুগুণ বাড়িয়ে তুলেছিল। তবে তাকাউজি আরও এগিয়ে যেতে পারতেন যদি তিনি তাঁর বিশ্বস্ত জেনারেলদের পরামর্শ অনুসরণ করতেন। কো ভাইয়েরা সম্পত্তি পুরোপুরি সরিয়ে দিতে চেয়েছিলেন। এস্টেট সিস্টেমের পুনর্বিন্যাসে যোদ্ধাদের স্বার্থ প্রাধান্য পেয়েছিল। তবে মহৎ স্বার্থ তখনও সংরক্ষিত ছিল। এস্টেট সিস্টেম সংরক্ষণে সহায়তা করার ক্ষেত্রে, অর্ধেক করের পরিমাপ এমন একটি নীতি ছিল যা তখনও যোদ্ধার অধিকারের সাথে আভিজাত্যের অধিকারকে সংযুক্ত করতে সক্ষম হয়েছিল।
অর্ধ কর নীতি যুদ্ধের সময় সংগৃহীত সামরিক রেশন (হায়রোরিয়োশো) এর জন্য মনোনীত জরুরি কর হিসাবে শুরু হয়েছিল: মিনো, ওমি এবং ওওয়ারি প্রদেশের নির্দিষ্ট উপাসনালয়, সমাধি এবং এস্টেট জমি থেকে অর্ধেক আয় মুরোমাচি শাসনের সেনাবাহিনীকে সমর্থন করার জন্য নেওয়া হবে। ক্রমবর্ধমানভাবে, এটি পুনরায় ব্যাখ্যা করা হয়েছিল এবং তাকাউজি দ্বারা করদ রাজ্যগুলোর প্রয়োগের উদ্দেশ্যে অর্ধেক জমির স্থায়ী অধিগ্রহণ হিসাবে পরিবর্তন করা হয়েছিল। এটি ছিল পূর্ববর্তী অনুশীলন থেকে আমূল প্রস্থান। উপরে উল্লিখিত হিসাবে, কামাকুরা আমলে বেশিরভাগ জমি, বিশেষত হোনশুর কেন্দ্রীয় ও পশ্চিম প্রদেশগুলোতে, অভিজাতদের মালিকানাধীন ছিল। তবে কামাকুরা হাউস করদ রাজ্যগুলোর দ্বারা স্টুয়ার্ডশিপ (জিতো শিকি) হিসাবে পরিচালিত হয়েছিল। এটি এস্টেট প্রতিষ্ঠানে একত্রে অভিজাতদের স্বার্থ এবং যোদ্ধাদের স্বার্থ উভয়কেই একত্রিত করেছিল। অর্ধ কর ব্যবস্থার আবির্ভাবের সাথে সাথে তাকাউজি সম্পত্তির অর্ধেক জমি মহৎ নিয়ন্ত্রণ থেকে সরিয়ে তার যোদ্ধাদের জায়গীরে দিচ্ছিলেন।
=== স্থানীয় সামুরাই (কোকুজিন) এর উত্থান ===
নানবোকু-চো দ্বন্দ্ব শুরু হলে করদ সম্পর্ক আরও গুরুতর হয়ে ওঠে। সামন্তদের আনুগত্য একটি বড় বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তুলনামূলকভাবে শান্তিপূর্ণ কামাকুরা সময়কালে, সামরিক দক্ষতাগুলো প্রিমিয়ামে রাখা হয়নি। তবে গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পরে এই মানদণ্ডটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে (ভর ১৯৮৯: ১১৩-৪,১১৭)। ১৩৩৬ পরবর্তী পরিবেশের করদ সম্পর্কগুলোতে একটি নতুন মধ্যস্থতাকারী বিবেচনা উদ্ভূত হয়েছিল: আনুগত্যের প্রয়োজন এবং প্রভু এবং করদ রাজ্যের মধ্যে একটি শক্ত বন্ধন। প্রতিদ্বন্দ্বীদের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তার ফলস্বরূপ শোগুন এবং তার করদ রাজ্যগুলোর মধ্যে দৃঢ় সম্পর্ক আবির্ভূত হয়েছিল। করদ সম্পর্ক হয় আশিকাগা দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল বা আশিকাগার প্রতি অনুগত উদীয়মান শুগো প্রভুদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত অন্য যোদ্ধা শ্রেণিবিন্যাসের কাছে সম্ভাব্য যোদ্ধা হারানোর ঝুঁকি ছিল এবং সবচেয়ে খারাপ প্রতিদ্বন্দ্বী সাম্রাজ্যবাদী জেনারেলদের দ্বারা। সুতরাং, সত্যিকার অর্থে, গৃহযুদ্ধের সময়কালে যোদ্ধা নিয়োগের মাধ্যমে সম্ভাব্য দ্বন্দ্ব দূর করতে করদ বন্ধন ব্যবহার করা হয়েছিল।
একই সময়ে সামুরাই এবং শোগুনের মধ্যে করদ বন্ধন শক্ত হয়েছিল, এই সম্পর্কগুলোর বৈধতা কঠোরভাবে পরীক্ষা করা হয়েছিল। এই আপাত বৈপরীত্যটি যৌক্তিকভাবে সামুরাই আনুগত্যের অনেক দাবির অস্তিত্ব দ্বারা ব্যাখ্যা করা হয়েছে যা উপস্থাপিত হয়েছিল: প্রতিদ্বন্দ্বী সাম্রাজ্যবাদী জেনারেল, শুগো প্রভু এবং এমনকি স্থানীয় সামুরাই জোটের প্রতি।
কয়েকটি উদাহরণ শোগুন আশিকাগা তাকাউজি এবং তার নতুন গোকেনিনদের মধ্যে করদ সম্পর্কের উত্থানকে চিত্রিত করবে। ১৩৩৬ সালে তাকাউজি কিউশুতে পশ্চাদপসরণ করার পরে আকি প্রদেশে আশিকাগা স্বার্থ রক্ষার দায়িত্ব পেলে কোবায়াকাওয়া পরিবার অনুগত করদ রাজ্য হয়ে ওঠে (আর্নেসেন ১৯৮৫: ১০৮)। আরেকটি আকি সামুরাই পরিবার মোরি বংশ, ১৩৩৬ সালে তাকাউজির করদ রাজ্য হয়ে ওঠে এবং কান্নো ঘটনার প্রাদুর্ভাব না হওয়া পর্যন্ত কো মোরোয়াসুর অধীনে দায়িত্ব পালন করে। ১৩৫০ এর দশকে মোরি তাকাউজি তাদায়োশি এবং তার দত্তক পুত্র তাদাফুয়ুর শত্রুদের পক্ষে ছিল এবং ১৩৬০ এর দশক পর্যন্ত তারা আবার শোগুনের করদ রাজ্য হিসাবে ফিরে আসেনি (আর্নেসেন ১৯৮৫: ১১৪-৫)। কাওয়াশিমা বংশ এবং কিয়োতোর নিকটবর্তী অন্যান্য যোদ্ধা পরিবারগুলোর সাথে করদ সম্পর্ক ১৩৩৬ সালের গ্রীষ্মে তাকাউজি রাজধানী পুনরায় দখলের অভিযানে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তাকাউজির স্বাক্ষর বহনকারী করদের শর্তাদি সম্পর্কিত একটি নথির কারণে কাওয়াশিমা মামলাটি যথেষ্ট আগ্রহের বিষয়: তারা কাওয়াশিমা এস্টেটের অর্ধেকেরও বেশি স্টুয়ার্ডশিপ অধিকারের (জিতো শিকি) জন্য সামরিক পরিষেবা বিনিময় করবে, বাকি অর্ধেকটি ভাড়া আকারে অভিজাত মালিকের দখলে রেখে দেবে।
=== কান্নো ঘটনা এবং ১৩৫০ এর দশকে দক্ষিণ দরবারের পুনরুত্থান ===
=== ঘটনাবলী ===
তাকাউজি নামমাত্র শোগুন ছিলেন। দশ বছরেরও বেশি সময় ধরে তাদায়োশি তার জায়গায় শাসন করেছিলেন। দুই ভাইয়ের মধ্যে সম্পর্ক অবশ্য "কান্নো ঘটনা" নামে একটি অত্যন্ত গুরুতর পর্বের মাধ্যমে ধ্বংস হয়েছিল। এটি এমন একটি ঘটনা যা কান্নো যুগ (১৩৫০-১৩৫১) থেকে নামকরণ করা হয়েছে। এই সময়েই দুই ভাইয়ের মধ্যে বিভেদের ঘটনাটি ঘটেছিল। এটি পুরো দেশের জন্য খুব গুরুতর পরিণতি বয়ে আনে। তাকাউজি কো নো মোরোনাওকে তার শিটসুজি বা ডেপুটি বানানোর ফলেই দুজনের মধ্যে ঝামেলা শুরু হয়েছিল। তাদায়োশি মোরোনাওকে পছন্দ করতেন না। তাই তাকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার অন্য প্রতিটি প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়ে তাকে হত্যা করার চেষ্টা করেছিলেন। তার এই ষড়যন্ত্র ফাঁস হয়ে যায়। ফলে ১৩৪৯ সালে তাদায়োশি মোরোনাও সরকার ত্যাগ করে মাথা ন্যাড়া হয়ে কেইশিন নামে বৌদ্ধ সন্ন্যাসী হতে বাধ্য হন। ১৩৫০ সালে তিনি বিদ্রোহ করে নিজের ভাইয়ের শত্রুদের সাথে যোগ দেন। সেই শত্রুরা ছিল দক্ষিণ দরবারের সমর্থক। সম্রাট গো-মুরাকামি তাকে তার সমস্ত সৈন্যের জেনারেল নিযুক্ত করেছিলেন। ১৩৫১ সালে তিনি তাকাউজিকে পরাজিত করে কিয়োতো দখল করেকামাকুরায় প্রবেশ করেন। একই বছর তিনি মিকেজে (সেৎসু প্রদেশ) কো ভাইদের বন্দী করে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেন। পরের বছর তার ভাগ্য ঘুরে যায়। তিনি সাত্তায়ামায় তাকাউজির কাছে পরাজিত হন। ভাইদের মধ্যে একটি পুনর্মিলন সংক্ষিপ্ত প্রমাণিত হয়েছিল। তাদায়োশি কামাকুরায় পালিয়ে যান, কিন্তু তাকাউজি সেখানে সেনাবাহিনী নিয়ে তাকে তাড়া করেন। তাইহেইকি অনুসারে ১৩৫২ সালের মার্চ মাসে আপাতদৃষ্টিতে দ্বিতীয় পুনর্মিলনের অল্প সময়ের মধ্যেই তাদায়োশি হঠাৎ বিষক্রিয়ায় মারা যান।
=== পটভূমি ===
মুরোমাচি শাসনকে বিভক্ত করে এমন চরম বিভাজনকারী কান্নো ঘটনা একীকরণকে সাময়িকভাবে আটকে রেখেছিল। যেহেতু এই ঘটনাটি আমলাতান্ত্রিক অন্তর্দ্বন্দ্বের ফলস্বরূপ ঘটেছে, তাই প্রথমে আমলাতান্ত্রিক অঙ্গগুলোর দিকে নজর দেওয়া দরকার, তারপরে দ্বন্দ্বটি কোথায় উত্থিত হয়েছিল তা পরীক্ষা করা দরকার।
প্রাথমিক শাসনের আমলাতান্ত্রিক অঙ্গগুলো আশিকাগা ভাইদের পৃথক এখতিয়ারের অধীনে ছিল। তাকাউজি ও তাদায়োশি একটি দ্বিখণ্ডিত প্রশাসন তৈরি করে। তাকাউজি হাউস করদ রাজ্যগুলোর নেতা ছিলেন এবং এভাবে বোর্ড অফ রিটেইনার্স (সামুরাই ডোকোরো) এবং পুরষ্কার অফিস (ওনশো-কাটা) নিয়ন্ত্রণ করেছিলেন, যখন তাদায়োশি শাসনের বিচারিক কার্যক্রমের উপর তদন্ত বোর্ড নিয়ন্ত্রণকারী আমলাতান্ত্রিক নেতা ছিলেন (সাতো ১৯৭৭: ৪৮; সাতো ১৯৭৭:৪৮)। গ্রসবার্গ ১৯৮১: ২১-২৪)।
রিটেইনার্স বোর্ড হাউস করদ রাজ্যগুলোর প্রতি শৃঙ্খলাবদ্ধ অঙ্গ হিসাবে ব্যবহৃত হয়েছিল: ব্রিগেন্ডেজ এবং অন্যান্য অপরাধের বিচার করা হয়েছিল (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ৮৮,১০৭)। পুরষ্কারের অফিসটি যোগ্য করদ রাজ্যগুলোর দাবি শুনতে এবং বন্দী করার জন্য ব্যবহৃত হয়েছিল। পুরষ্কারের অফিসটি নতুন যোদ্ধাদের তালিকাভুক্ত করতে ব্যবহৃত হয়েছিল যারা শাসনের সম্ভাব্য প্রতিপক্ষ ছিল। প্রধান বিচারিক অঙ্গ, কোডজুটরস বোর্ড, উত্তরাধিকারের সাথে জড়িত সমস্ত জমি বিরোধ মামলা এবং ঝগড়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ৮৮)। সমস্ত বিচারিক কাজগুলো একটি প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর মধ্যে আইনীভাবে দ্বন্দ্ব এবং বিরোধ নিষ্পত্তি করার জন্য ব্যবহৃত হয়। নতুন শাসনের জন্য আমলাদের (বুগিওনিন) পতনের আগে হোজো শাসনের দায়িত্ব পালনকারীদের পদমর্যাদা থেকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ৯০)। তারা মূল্যবান ছিল। কারণ তারা পড়তে এবং লিখতে জানত, এমন একটি কাজ যা বেশিরভাগ যোদ্ধাদের নাগালের বাইরে।
১৩৫০ এর দশকে কান্নো ঘটনা এবং এর পরিণতি প্রাথমিক শাসনকে বিভক্ত এবং প্রায় ধ্বংস করে দিয়েছিল (সানসোম ১৯৬১: ৭৮-৯৫)। আপাতদৃষ্টিতে ঘটনাটি তাকাউজির ভাই আশিকাগা তাদায়োশির বিরুদ্ধে কো ভ্রাতৃদ্বয়, মোরোনাও এবং মোরোয়াসুর বিরুদ্ধে তাকাউজির সমর্থিত একটি উপদলীয় লড়াইয়ের মতো দেখায় (উইন্টারস্টিন ১৯৭৪: ২১৫; আর্নেসেন ১৯৭৯: ৫৩-৫৪)। দ্বন্দ্বটি এস্টেট সিস্টেম সম্পর্কে মতামতের পার্থক্য এবং এই ভিন্ন মতামতের পিছনে তাকাউজি ও তাদায়োশি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত বিভিন্ন আমলাতন্ত্রের দিকে ইঙ্গিত করা যেতে পারে। সামগ্রিকভাবে তাকাউজি ছিলেন উদ্ভাবক এবং তাদায়োশি রক্ষণশীলতার ভূমিকা পালন করেছিলেন। তিনি অতীতের নীতিগুলো সংরক্ষণ করতে চেয়েছিলেন। করদ রাজ্য ব্যান্ডের সামরিক নেতা হিসাবে তাঁর ক্ষমতায় তাকাউজি দুটি জিনিস করেছিলেন। এটি তাদায়োশির সাথে সাংঘর্ষিক ছিল: তিনি যুদ্ধক্ষেত্রের বীরত্বের পুরষ্কার হিসাবে শুগো পোস্টগুলোতে করদ রাজ্য নিয়োগ করেছিলেন। এর পাশাপাশি তিনি শোয়েন এস্টেটগুলো ভাগ করে দিয়েছিলেন। এর অর্ধেক তার করদ রাজ্যগুলোর ফিফ বা স্টুয়ার্ডশিপ হিসাবে দিয়েছিলেন। তাদায়োশি কেম্মু ফর্মুলারি খসড়া তৈরির মাধ্যমে এই নীতিগুলোর কঠোরভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। তিনি যুদ্ধক্ষেত্রের সেবার পুরষ্কার হিসাবে শুগোর নিয়োগের বিরোধিতা করেছিল। তিনি কোডজুটরস বোর্ডের নেতা হিসাবে তাঁর ক্ষমতায় এস্টেট জমিগুলোর যে কোনও ধরণের সরাসরি বিভাজনের বিরোধিতা করেছিলেন (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ২৩-৪)। তাকাউজি এবং তার ভাই তাদায়োশির নীতিগুলোর মধ্যে একটি স্পষ্ট বিভাজন ছিল।
দু'জন রাষ্ট্রপ্রধানের নীতি একে অপরের সাথে সাংঘর্ষিক হওয়ার ফলে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। এই ঘটনার পরের ঘটনাবলী সাক্ষ্য দেয়, শাসকগোষ্ঠী কতটা সমর্থন হারাতে শুরু করেছিল। আশিকাগা পরিবারের সদস্যদের মধ্যে গভীর বিভাজন বিরোধীদের শক্তিশালী করেছিল। মুরোমাচি শাসনের উভয় স্তম্ভ, তাকাউজি ও তাদায়োশি তাদের নিজস্ব এজেন্ডা চাপিয়ে দেওয়ার জন্য দক্ষিণ দরবারে টোকেন জমা দিয়েছিলেন: কো ভাইদের ধ্বংস করার ইচ্ছায় তাদায়োশি এবং অন্যদিকে তাদায়োশিকে পরাজিত করার আকাঙ্ক্ষায় তাকাউজি এটি করেন। হাস্যকরভাবে দক্ষিণ দরবার উভয়ের শত্রু হলেও এই দুই শাসক সদস্য একে অপরকে আক্রমণ করার ন্যায্যতা হিসাবে এটি ব্যবহার করেছিল।
=== প্রভাব ===
এই ঘটনার অন্যতম প্রধান প্রভাব ছিল দক্ষিণ দরবারের যুদ্ধের প্রচেষ্টাকে পুনরুজ্জীবিত করা। অনেকাংশে এই নতুন আক্রমণাত্মক মুরোমাচি শাসনের টার্নকোটদের দ্বারা সম্ভব হয়েছিল। কামাকুরায় তাকাউজির বিরুদ্ধে পরিচালিত ১৩৫২ সালের সাম্রাজ্যবাদী আক্রমণ তাদায়োশির প্রাক্তন অনুসারীদের বিপুল সংখ্যক দ্বারা সম্ভব হয়েছিল। তারা সাম্রাজ্যবাদী নেতা নিত্তা যোশিমুনের সমর্থক হয়েছিলেন। শুগো প্রভু ইয়ামানা টোকিউজির দলত্যাগের মাধ্যমে ১৩৫৩ সালে কিয়োতোর বিরুদ্ধে সাম্রাজ্যবাদী আক্রমণ সম্ভব হয়েছিল। তাদায়োশির দত্তক পুত্র আশিকাগা তাদাফুয়ু ছিলেন দলত্যাগের অসামান্য উদাহরণ: ১৩৫৩ এবং ১৩৫৪ সালে কিয়োতোর বিরুদ্ধে সাম্রাজ্যবাদী আক্রমণের সময় তিনি দক্ষিণ দরবারের পশ্চিমা সেনাবাহিনীর নেতা হয়েছিলেন।
=== শুগো প্রভুদের উত্থান ===
এই যুগের উত্থান-পতন বুঝতে হলে আমাদের তখন শোগুন-শুগো প্রভু সম্পর্কের উদাহরণের দিকে ফিরে যেতে হবে। নানবোকু-চো যুগের বৈশিষ্ট্যযুক্ত প্রতিযোগিতামূলক আনুগত্য বিভিন্ন স্তরে খেলা হয়েছিল। একবারে আমরা মোরির মতো স্থানীয় সামুরাই পরিবারগুলোর দলত্যাগ দেখতে পাই - ভয়াবহ বিভাজনকারী কান্নো ঘটনার সময় অস্বাভাবিক নয়। উচ্চতর স্তরে, শুগো প্রভুরা চতুর্দশ শতাব্দীর শেষার্ধ পর্যন্ত বিপজ্জনকভাবে স্বাধীন পদ্ধতিতে কাজ চালিয়ে যান।
আশিকাগা শোগুন তাকাউজি পশ্চিম ও মধ্য জাপানের বিভিন্ন প্রদেশে শাখা পরিবারের সদস্যদের শুগো প্রভু হিসাবে নিয়োগ করেছিলেন। শুগো গভর্নর হিসাবে কাজ করেছিলেন এবং শাসন কেন্দ্র এবং পেরিফেরির মধ্যে মধ্যস্থতার দায়িত্ব পালন করেছিলেন। স্থানীয় গভর্নর এবং তাদের নিজস্ব অধিকারে প্রভু হিসাবে, তারা প্রদেশগুলোতে শাসনের কর্তৃত্বের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন। তারা প্রদেশব্যাপী নিয়োগের কারণে সামুরাই হাউসম্যানের চেয়ে অনেক বেশি কর্তৃত্ব অর্জন করেছিল, একক এস্টেটে সীমাবদ্ধ ছিল না। এখানে আমরা মুরোমাচি যুগের প্রথম দিকে আশিকাগা শোগুনের সাথে তাদের সম্পর্কের দিকে নজর দেব।
শুগো নিয়োগের সাফল্য আত্মীয়তার বন্ধনের দিকে নয়, বরং অন্যান্য কারণের মাধ্যমে তারা শাসনের সাথে কতটা ভালভাবে আবদ্ধ ছিল তার উপর নির্ভর করে। কামাকুরা আমল থেকে যোদ্ধা পরিবারগুলো শীর্ষপদ অধিকার (সোরিও) ব্যবহার করে চিহ্নিত করা হয়েছিল। এখানে শাখা পরিবারগুলোর উপর নেতৃত্ব দেওয়া হয়েছিল মূল পরিবারের নেত্রী। শীর্ষপদ অধিকারগুলো অত্যন্ত অস্থির ছিল। কারণ শাখা পরিবারগুলো প্রায়শই তাদের নিজস্ব স্বাধীনতা দাবি করেছিল, বিশেষত নতুন প্রজন্ম আত্মীয়তার বন্ধনকে হ্রাস করার জন্য আবির্ভূত হয়েছিল (মাস ১৯৮৯: ১১৯)।
সেদিনের প্রয়োজনীয়তাগুলো শুগো পদে নিযুক্ত ব্যক্তিদের দ্বারা সামরিক দক্ষতার সফল ব্যবহারের আহ্বান জানিয়েছিল। আশিকাগা শোগুন এবং স্থানীয় সামুরাইয়ের মধ্যে করদ সম্পর্কের মতো, শোগুন এবং শুগো প্রভুদের মধ্যে বন্ধন একই অর্থে মধ্যস্থতাকারী ছিল: প্রতিযোগিতামূলক আনুগত্যের জগতে, আশিকাগা শোগুনরা শুগো পোস্টগুলোতে যোদ্ধাদের নিয়োগ দিয়ে এই পুরুষদের নিজের আরও কাছাকাছি বেঁধে রাখার চেষ্টা করেছিল। সফল জেনারেলরা, যারা একই সাথে শাখা পরিবারের প্রধান ছিলেন যারা তাকাউজির বিদ্রোহের সাথে তাদের ভাগ্যে নিক্ষেপ করেছিলেন, তারাই প্রায়শই এই পদে পুরস্কৃত হন (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ২৩)। তাদের শাসকগোষ্ঠীর সাথে বেঁধে না রাখার মূল্য ছিল তাদের সমর্থন হারানো, এবং শাসন থেকে তাদের স্বাধীনতাকে উত্সাহিত করা।
শুগো পদে নিযুক্ত আশিকাগা শাখা পরিবারগুলোর মধ্যে হোসোকাওয়া, ইয়ামানা, ইমাগাওয়া, হাতাকেয়ামা, নিকি, কিরা, শিবা, ইশিদো এবং ইশিকি পরিবার অন্তর্ভুক্ত ছিল (পাপিনোট ১৯৭২: ২৭)। নির্দিষ্ট প্রদেশগুলোতে, আশিকাগা মূল শুগো পরিবারগুলোকে স্থানচ্যুত করতে ব্যর্থ হয়েছিল: কেন্দ্রীয় প্রদেশগুলোতে সাসাকি, তোগাশি, তাকেদা এবং ওগাসাওয়ারা এবং কিউশুতে শিমাজু, ওটোমো এবং শোনি (আর্নেসেন ১৯৭৯: ৬০)। মধ্য ও পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশগুলোতে প্রায় অর্ধেক নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত। সময় কান্নো ঘটনা, নতুন নিয়োগপ্রাপ্তদের সাথে আশিকাগা হেডশিপ (সোরিও) সম্পর্ক এই শুগোকে শাসনের প্রতি সরাসরি বিদ্রোহ থেকে মোটেও আটকাতে পারেনি। প্রকৃতপক্ষে, শুগো প্রভুদের তুলনায় এই সময়কালে শাসনের জবরদস্তিমূলক প্রতিষ্ঠানগুলোর শোচনীয়ভাবে অভাব ছিল।
শুগো প্রভুদের যা খুশি তা করতে বাধা দিয়েছিল তা হলো নিয়োগের ক্ষীণ যোগসূত্র। বিশেষত নতুন নিয়োগপ্রাপ্তরা যারা তাকাউজির সাথে আবির্ভূত হয়েছিল। যতক্ষণ না তারা তখনও প্রদেশগুলোতে তাদের ক্ষমতা তৈরি করতে পারেনি, ততক্ষণ শাসনের সাথে তাদের সংযোগ বজায় রাখার জন্য তাদের একটি স্বার্থান্বেষী উদ্দেশ্য ছিল। সুও এবং নাগাতো প্রদেশের ওচি এবং সাতসুমা প্রদেশের শিমাজুর মতো যেসব প্রাদেশিক পরিবার কামাকুরা আমলে ক্ষমতা অর্জন করেছিল, তারা তাদের নিজস্ব অধিকারে প্রভু ছিল। এই কারণে তার শাসন এবং তাদের শুগো উপাধির উপর কম নির্ভরশীল ছিল।
১৩৭২ এর পর শুগো প্রভুদের মুরোমাচি শাসনের জন্য কর (তানসেন) সংগ্রহের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। এই করগুলো অভিজাত থেকে শুরু করে সামুরাই পর্যন্ত জমির মালিকদের প্রতিটি শ্রেণীর উপর আঘাত করে। মধ্যস্থতাকারী হিসাবে, শুগো প্রতিটি পৃথক জমির মালিকের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় করের পরিমাণ বাড়িয়ে লাভ করেছিল (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ৭৫)। এই তারিখের মধ্যে, তারা গভর্নর হিসাবে অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছিল এবং তাই তাদের একটি নতুন শাসন কেন্দ্রিক কর তদারকির অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।
=== শুগো সিভিল ফাংশন এবং শুগো উইকের ব্যবহার ===
যা ফোকাসে আসে তা হলো শুগো প্রভু দ্বারা সিভিল গভর্নরের অফিসের ধীরে ধীরে কিন্তু অবিচলিত দখল এবং সামন্ততান্ত্রিক বন্ধনকে কার্যকর করার জন্য এই অবস্থানের ব্যবহার। শুগো পূর্ববর্তী গভর্নরদের মতো তার ঐতিহ্যবাহী প্রশাসনিক দক্ষতার মাধ্যমে নয়, বরং নানবোকু-চো যুদ্ধের সময় এস্টেটের জমি দখলকারী সামুরাইয়ের সাথে করদের মধ্যস্থতাকারী সম্পর্কের মাধ্যমে এবং সরকারি জমিতে বসবাসকারী সামুরাইদের সাথে (কোকুগারিও) কার্যকর করতে সক্ষম হয়েছিল। শুগো প্রভুরা উভয়ই গভর্নর ছিলেন, মুরোমাচি শাসন কর্তৃক তাদের দেওয়া কিছু বৈধ দায়িত্ব ছিল এবং সামন্ত প্রভুরা সামন্তদের প্ররোচিত করার চেষ্টা করেছিলেন।
নানবোকু-চো যুদ্ধ অভিজাতদের প্রতি নির্দয় ছিল। তাদের জমিগুলো পূর্ববর্তী সামুরাই স্টুয়ার্ডরা সরাসরি নিয়েছিল এবং অবৈধভাবে ব্যক্তিগত হোল্ডিংয়ে (চিগিও) রূপান্তরিত হয়েছিল। এই বৈপ্লবিক বিকাশ পরবর্তীকালে সংঘটিত এস্টেট ব্যবস্থার সম্পূর্ণ তরলকরণের অগ্রদূত ছিল। শুগো প্রভুরাও তাদের উপর সামুরাই চাপিয়ে তাদের নিয়ন্ত্রণাধীন প্রাক্তন এস্টেটগুলো জড়ো করে এই পুরো জমি দখলে অংশ নিয়েছিল (নাগাহারা ১৯৮২: ১২)। হাস্যকরভাবে, যুদ্ধের উচ্চতায় জমিতে সামুরাই দখলদারিত্ব দ্বারা সৃষ্ট এই আইনহীন পরিস্থিতি ক্ষুদ্র সামুরাই থেকে কোকুজিন পর্যন্ত সমস্ত জমিদার স্বার্থের জন্য সুরক্ষা সমস্যা সৃষ্টি করেছিল এবং স্থানীয় সামুরাইদের মধ্যে করদ আকারে শুগো প্রভুদের সাথে মধ্যস্থতাকারী সম্পর্ক অর্জনের জন্য আরও প্রেরণা সরবরাহ করেছিল। শুগোর সাথে নিজেকে বেঁধে রেখে, তারা প্রদেশের এমন এক ব্যক্তির সাথে নিজেকে মিত্রতা করতে সক্ষম হয়েছিল যিনি একরকম স্থানীয় সুরক্ষা সরবরাহ করতে পারেন।
শুগো লর্ড এবং কোকুজিনের মধ্যে করদ সম্পর্ক প্রায়শই এস্টেটগুলোতে শুগো চুক্তি (শুগো-উকে) নামে পরিচিত একটি ত্রিমুখী মধ্যস্থতাকারী টাই হয়: একজন অভিজাত মালিক রাজধানীতে বসবাসকারী মালিককে সরবরাহ করা গ্যারান্টিযুক্ত বছরের শেষের (নেঙ্গু) আয়ের বিনিময়ে শুগোকে তার এস্টেট পরিচালনার দায়িত্ব দিতেন। শুগো প্রভু তখন ম্যানেজার হিসাবে সেই এস্টেটগুলোতে করদ রাজ্য সামুরাই (হিকান) নিযুক্ত করেছিলেন (মিয়াগাওয়া ১৯৭৭: ৯২; মিয়াগাওয়া ১৯৭৭: ৯২)। নাগাহারা ১৯৮২: ১৪)। অনুমিতভাবে, শুগো চুক্তিগুলো শুগো প্রভু, সামুরাই কোকুজিন এবং আভিজাত্যের স্বার্থকে একত্রে বেঁধেছিল। তবে স্বার্থের সমতার ভিত্তিতে ছিল না। তারা সত্যই এস্টেটগুলোতে শুগো দখলের যন্ত্র ছিল। চুক্তির মধ্যস্থতাকারী প্রকৃতি সম্পর্কে কোনও সন্দেহ নেই। কারণ এটি তিনটি গোষ্ঠীর স্বার্থকে সংযুক্ত করেছিল। তবে এটি শুগো প্রভুর পক্ষে সবচেয়ে অনুকূল ছিল যিনি এই যন্ত্রটি স্থানীয় সামুরাই (কোকুজিন) এর সাথে করদের সম্পর্ক প্রসারিত করতে এবং একই সাথে আভিজাত্যের ব্যয়ে তার জমি বেস প্রসারিত করতে ব্যবহার করেছিলেন। শুগো চুক্তি (শুগো-উকে) ১৩৪০ এর দশকে আবির্ভূত হয়েছিল এবং ধীরে ধীরে ব্যাপক হয়ে ওঠে (উইন্টারস্টিন ১৯৭৪: ২১১)। এই চুক্তিটি কীভাবে পরিচালিত হয়েছিল তা দেখে, এটি স্পষ্ট যে এস্টেট সিস্টেম (শোয়েন) যোদ্ধাদের দ্বারা কতটা দখল করা হয়েছিল এবং তার পূর্ববর্তী জীবনের একটি কঙ্কালে পরিণত হয়েছিল। শুগো প্রভুরা সামরিক সেবার বিনিময়ে সামুরাইকে এস্টেটের পরিচালনা দিয়েছিলেন, কিন্তু আভিজাত্যকে এস্টেটের সমস্ত ক্ষমতা ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছিল, তিনি যেখানে থাকতেন সেখানে বছরের শেষের (নেঙ্গু) আয়ের অংশের জন্য অপেক্ষা করতে হ্রাস পেয়েছিলেন। অভিজাত তার নিজের আয়ের অংশের গ্যারান্টি দেওয়ার জন্য কর অধ্যক্ষ (নেঙ্গু দাইকান) নিয়োগ করেছিলেন। তবে তাকে নিয়োগের জন্য অত্যধিক পরিমাণ অর্থ প্রদান করতে হয়েছিল। কোকুজিন এবং শুগো প্রভু দ্বারা ইতিমধ্যে হ্রাস করা অভিজাত আয় আরও হ্রাস পেয়েছিল যখন ট্যাক্স ওভারসিয়ার তার অর্ধেক নিয়েছিল। মহৎ আয়ের এই হ্রাস শুগো এবং সামুরাই উভয়ের পক্ষ থেকে ধীরে ধীরে অর্থ প্রদান না করার ফলাফল ছিল; শেষ ব্যবস্থা হিসাবে, অভিজাতরা যোদ্ধাদের উপর চাপ দেওয়ার উপায় হিসাবে মহাজন (ডিওএসও) এবং আমলাদের (বুগিওনিন) ভাড়া করেছিল। তবে এই প্রতিকারটিও দাগযুক্ত ফলাফল তৈরি করেছিল। কারণ ভাড়াটে হাতগুলো যোদ্ধাদের সাথে আলোচনা করতে হয়েছিল (নাগাহারা ১৯৮২: ১৬)।
=== শুগো এবং পাবলিক ল্যান্ডস (কোকুগারিও) ===
সম্প্রতি অবধি একটি বৃহত্তর অনুপস্থিত চিত্র হলো মুরোমাচি আমলে সরকারি জমিগুলোর ভাগ্য (কোকুগারিও) এবং তাদের উপর তাদের দখলদারিত্বে শুগো প্রভুদের ভূমিকা। হেইয়ান আমলে সরকারি জমি (কোকুগারিও) এস্টেটগুলোর ব্যক্তিগত জমি (শোয়েন) থেকে পৃথক ছিল। কারণ পরবর্তীকালে রাষ্ট্রীয় কর থেকে মুক্ত ছিল। বেসরকারি এস্টেটের উত্থানের আগে, একমাত্র ধরণের জমি ছিল পুরানো নাগরিক প্রশাসনের অধীনে রক্ষণাবেক্ষণ করা সরকারি জমি। হেইয়ান আমলে শোয়েন নামে পরিচিত বেসরকারি এস্টেটগুলোর উত্থানের সাথে সাথে সরকারি জমিগুলো কোনওভাবেই অদৃশ্য হয়ে যায়নি: বিশদভাবে, সরকারি জমিগুলো ব্যক্তিগত এস্টেট থেকে খুব কম আলাদা ছিল। দুটিরই মালিক ছিলেন অনুপস্থিত মালিকরা। তারা কেবল প্রশাসনের দিক থেকে পৃথক ছিল: বেসরকারি এস্টেটগুলো সরাসরি অভিজাত কর্মকর্তাদের দ্বারা পরিচালিত হত, অন্যদিকে, সরকারি জমিগুলো প্রাক্তনদের পক্ষে সিভিল গভর্নরদের (কোকুগা বা কোকুশি) দ্বারা পরিচালিত হত (আর্নেসেন ১৯৭৯: ৯৪)। কামাকুরা আমলে সরকারি জমিগুলো বিভিন্ন জমির মালিকদের ব্যক্তিগত হোল্ডিং (চিগিও) হিসাবে মালিকানাধীন ছিল। এই জমির মালিকদের মধ্যে অভিজাত বাড়ি, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান এবং যোদ্ধা অন্তর্ভুক্ত ছিল। কান্তো এবং উত্তর-পূর্বের পুরো অঞ্চল যোদ্ধাদের দখলে ছিল এস্টেট ম্যানেজার হিসাবে নয়, ব্যক্তিগত হোল্ডিং হিসাবে (নাগাহারা ১৯৮২: ১৫): কান্টো প্রদেশগুলো কামাকুরা শাসনকে ব্যক্তিগত জমি (চিগিওকোকু) হিসাবে দেওয়া হয়েছিল। আশিকাগা শাসন এই জমিগুলো উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছিল এবং ভাগ্যক্রমে তাদের উপরে শুগো প্রভুদের রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল (আর্নেসেন ১৯৭৯: ৯৪)।
সিভিল গভর্নর অফিসের (কোকুশি) অন্যতম প্রধান কাজ ছিল প্রদেশগুলোতে ফৌজদারি বিচারের তদারকি এবং সরকারি জমির মধ্যে ব্যক্তিগত হোল্ডিংগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ (কোকুগারিও)। তবে কামাকুরা শাসনের আবির্ভাবের সাথে তার কার্যকারিতা পরিবর্তন হতে শুরু করে (হল ১৯৬৬: ২০২-০৩)। কামাকুরা কর্তৃক শুগো কনস্টেবল নিয়োগের সাথে সাথে প্রদেশগুলোর মধ্যে সমস্ত ফৌজদারি এখতিয়ার তার হাতে চলে যায়। তবে সিভিল গভর্নর (কোকুশি) সিভিল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (রিটসুরিও) মূল কর্মকর্তা হিসাবে রয়ে গেলেন, যিনি নিশ্চিত করেছিলেন যে ব্যক্তিগত হোল্ডিং থেকে ভাড়া কিয়োতো এবং ইয়ামাশিরো প্রদেশের অনুপস্থিত অভিজাত এবং ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে (জিশা হোনজো) পৌঁছেছে। তাঁর তত্ত্বাবধানে যোদ্ধাদের ব্যক্তিগত হোল্ডিংগুলো অন্তর্ভুক্ত ছিল না, সাধারণত কানটো এবং আরও উত্তরে কেন্দ্রীভূত ছিল।
নানবোকু-চো যুদ্ধের প্রাদুর্ভাবের সাথে সাথে নাগরিক প্রশাসন (ঋতসুরিও) দ্রুত ভেঙে পড়তে শুরু করে এবং শুগো প্রভুরা, যাদের কামাকুরা আমলে প্রাদেশিক শাসনে সামান্য ভূমিকা ছিল, তারা সিভিল গভর্নরের দায়িত্ব দখল করতে আবির্ভূত হয়েছিল। এটি প্রতিটি প্রদেশে তাত্ক্ষণিকভাবে ঘটেনি। তবে শুগো প্রভুরা সরকারি জমিতে সত্যিকারের গভর্নর না হওয়া পর্যন্ত কোনও বাধা ছাড়াই ঘটেছিল (কোকুগারিও)। তারা সরকারি জমির মধ্যে ব্যক্তিগত হোল্ডিংয়ের তদারকি করার সাথে সাথে তারা বিভিন্ন ধরণের জমির মালিকদের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করেছিল: অভিজাত, বিভিন্ন ধরণের সামুরাই (কোকুজিন, জিজামুরাই) এবং ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের সাথে। তারা এই জমিগুলোতে তাদের নিজস্ব অনুসারীদের চাপিয়ে দিয়েছিল এবং সামরিক সেবার বিনিময়ে বিদ্যমান সামুরাইয়ের জমিগুলো পুনরায় নিশ্চিত করেছিল এবং অনুমানযোগ্য ফলাফলের সাথে অভিজাতদের সাথে শুগো চুক্তি প্রতিষ্ঠা করেছিল (নাগাহারা ১৯৮২: ১৫)। এস্টেটগুলোতে স্থানীয় সামুরাই (কোকুজিন) এর সাথে করদ সম্পর্কের পাশাপাশি, সরকারি জমিতে করদ বন্ধন একটি মূল সংস্থান হয়ে ওঠে যা শুগো প্রভুদের শক্তি বাড়িয়ে তোলে।
তদুপরি, ১৩৪৬ সালে মুরোমাচি শাসনের উত্থানের দশ বছর পর শোগুন শুগোকে এস্টেটগুলোতে ফসল চুরির মামলাগুলো বিচার করার এবং সাম্রাজ্যবাদী বাহিনীর কাছ থেকে নেওয়া যোগ্য করদ রাজ্যগুলোর জমির অস্থায়ী নিয়োগ দেওয়ার অধিকার দিয়ে কর্তৃত্বকে বিকেন্দ্রীকরণ করেছিল (আর্নেসেন ১৯৭৯: ৬৫)। এটি তাৎপর্যপূর্ণ ছিল, যতক্ষণ না কামাকুরা এখতিয়ারের ঐতিহ্যবাহী অঞ্চলগুলো মুরোমাচি শাসন দ্বারা "ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল"। পূর্বে, ফসল চুরি বা জমি বরাদ্দের সমস্ত মামলা কঠোরভাবে কামাকুরা প্রশাসনের অধীনে ছিল। এছাড়াও প্রায় একই সময়ে সাম্রাজ্যবাদী শক্তি তাদের সবচেয়ে খারাপ পরাজয়ের সম্মুখীন হচ্ছিল, এই পরিস্থিতি শত্রুদের জমি বাজেয়াপ্ত ও পুনর্নির্ধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দিচ্ছিল। শুগো প্রভুদের এই নতুন এখতিয়ার দেওয়ার মাধ্যমে এটি তাদের নির্ধারিত প্রদেশগুলোর গভর্নর হিসাবে তাদের অবস্থানকে আরও বাড়িয়ে তোলে।
=== বৈধতা এবং ক্ষমতার সীমাবদ্ধতা ===
এই দ্বৈত ক্ষমতায় শুগো প্রভুদের গভর্নর হিসাবে পরিচালিত জমির জন্য প্রদেশগুলোতে অন্যান্য জমি সামুরাইয়ের সাথে প্রতিযোগিতা করতে হয়েছিল। তবে ব্যক্তিগতভাবে মালিকানাধীন ছিল না। অভিজাত মালিকদের মতো, একক শুগো প্রভু বেশ কয়েকটি প্রদেশের বিস্তৃত অঞ্চলে জমির মালিক ছিলেন। তাঁর ক্ষমতা ষোড়শ শতাব্দীর আঞ্চলিক প্রভুদের (দাইমিও) মতো জমির ব্যক্তিগত মালিকানার উপর নির্মিত হয়নি। তবে করদের বন্ধনের মাধ্যমে স্থানীয় সামুরাইয়ের আনুগত্যের উপর নির্মিত হয়েছিল (মিয়াগাওয়া ১৯৭৭: ৯১-৯৩)। ষোড়শ শতাব্দীর আঞ্চলিক প্রভুদের দ্বারা অনেক বেশি জবরদস্তিমূলক সম্ভাবনা প্রয়োগ করা হয়েছিল। কারণ তাদের আশেপাশের জমিগুলোর মালিকানার উপর ভিত্তি করে তাদের করদের বন্ধন ছিল: মালিক হিসাবে তারা উপযুক্ত হিসাবে জমিটি ছেড়ে দিতে পারে, খুব বেশি ঝামেলা ছাড়াই অবাধ্য করদ রাজ্যগুলোর থেকে মুক্তি পেতে পারে। চতুর্দশ শতাব্দীতে, শুগো প্রভুরা অঞ্চলটির প্রদেশব্যাপী মালিকানা দাবি করতে পারেনি: প্রথমত, ব্যক্তিগত প্রাদেশিক মালিকানার ধারণাটি তখনও অনুন্নত ছিল; দ্বিতীয়ত, তারা কখনই প্রচুর পরিমাণে ব্যক্তিগত সম্পত্তি সংগ্রহ করেনি, বরং তাদের সামন্তদের দখল করার জন্য এস্টেট জমি এবং সরকারি জমির ঐতিহ্যবাহী কাঠামো ব্যবহারের উপর নির্ভর করেছিল। এটি চতুর্দশ শতাব্দীর কেন্দ্রীয় রহস্য: এস্টেট সিস্টেমের বিভাজন এবং বিলুপ্তি এবং নাগরিক প্রশাসনের অন্তর্ধান ব্যক্তিগত জমির বিস্তারের সাথে মিলে যায়। তবে এস্টেট সিস্টেমের বাহ্যিক কাঠামো (শোয়েন) এবং পাবলিক ল্যান্ডস সিস্টেম (কোকুগারিও), যদিও বিষয়বস্তু বিহীন, তবুও রয়ে গেছে (কিয়ারস্টেড ১৯৮৫: ৩১১-১৪)। বিভাজনের পরিপ্রেক্ষিতে, এটি ছিল শুগো করদের মধ্যস্থতাকারী সম্পর্ক এবং প্রাদেশিক গভর্নর হিসাবে শুগোর ভূমিকা। এটি কিছুটা হলেও ভিন্ন শক্তিকে সংহত করতে সহায়তা করেছিল।
যোদ্ধাদের হাতে যে অবক্ষয়ের শিকার হয়েছিল তার পরিপ্রেক্ষিতে এস্টেট ব্যবস্থা কীভাবে আদৌ বেঁচে ছিল তা আশ্চর্যের বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। উপরে বর্ণিত ক্ষয়িষ্ণু আকারে টিকে থাকার দুটি। কারণ ছিল: এক, মুরোমাচি শাসনের অস্তিত্ব ছিল যা যোদ্ধা আক্রমণের মুখে ধারাবাহিকভাবে এস্টেট ব্যবস্থাকে সমর্থন করেছিল (নাগাহারা ১৯৮২: ১৬)। দ্বিতীয় বিভাগে বর্ণিত হিসাবে, আশিকাগা তাকাউজি নিশ্চিত করার চেষ্টা করেছিলেন যে অর্ধেক করের পরিমাপ দ্বারা যোদ্ধাদের উপর নির্ধারিত সীমা অতিক্রম করা হয়নি। তবে তিনি শুগো চুক্তির মতো ব্যবস্থাগুলো এড়াতে ব্যর্থ হয়েছিলেন যা সত্যই তার সম্পত্তি এবং এর আয়ের আভিজাত্যকে অস্বীকার করেছিল। অর্ধ করের পরিমাপ নিজেই সামুরাইয়ের হাতে সম্পত্তির সরাসরি দখল থেকে আভিজাত্যকে রক্ষা করেনি, এমনকি যদি পরবর্তীকালে অর্ধ কর আইন পূরণের জন্য একটি অংশ হস্তান্তর করার প্রয়োজন হয়। শেষ পর্যন্ত, মুরোমাচি প্রশাসনই নিশ্চিত করেছিল যে সামুরাইরা তাদের আয়ের অংশ অভিজাতদের প্রদান করে।
এস্টেট ব্যবস্থার টিকে থাকার পেছনে অন্য কারণটি অভিজাত শ্রেণীর বৈধতার সাথে সংযুক্ত ছিল। এস্টেটে বসবাসকারী কৃষকদের মধ্যে যোদ্ধাদের উত্থান জনপ্রিয় ছিল না। অভিজাতদের আরও কোমল হাত ছিল সেই হাতটিও লোকেরা শ্রদ্ধা করতে এসেছিল। জনগণের মধ্যে সরাসরি অবাধ্যতা ও বিদ্রোহ রোধ করা শুগো প্রভু এবং কোকুজিন উভয়ই এস্টেট কাঠামোর বাহ্যিক রূপকে সম্মান জানাতে আসার একটি। কারণ ছিল। কৃষকদের চোখে তাদের শাসনকে বৈধ করার জন্য, যোদ্ধারা এস্টেট কাঠামোর কাঠামোর মধ্যে কাজ করেছিল, যদিও এই কাঠামোটি পুরোপুরি পরিবর্তিত হয়েছিল (নাগাহারা ১৯৮২: ১৬-৭)। একটি মামলা তৈরি করা যেতে পারে যে ইয়ামাশিরো প্রদেশের বাইরে এস্টেট ব্যবস্থা এমন পরিমাণে ক্ষয়প্রাপ্ত হয়েছিল, প্রদেশগুলোতে অভিজাতদের কোনও প্রভাব অবশিষ্ট ছিল না।
== আশিকাগা শক্তি একীকরণ: ১৩৬০-১৩৭০ ==
১৩৫৮ সালে তাকাউজির মৃত্যুর পর শোগুনতন্ত্র তার পুত্রের হাতে চলে যায় যোশিয়াকিরা। তাঁর নেতৃত্বে, এবং কানরেই হোসোকাওয়া ইয়োরিয়ুকির নেতৃত্বে, শাসনব্যবস্থা ১৩৬০ এবং ৭০ এর দশকে শুগো প্রভুদের সংহত করতে সফল হয়েছিল: আশিকাগার শুগো শাখা পরিবারগুলো সরকারি আমলাতন্ত্রের মধ্যে নিযুক্ত ছিল। আমি নিম্নলিখিত পয়েন্টগুলো কভার করব: ১) কানরেই কাউন্সিল সিস্টেমের উত্থান, এবং মধ্যস্থতাকারী যন্ত্র হিসাবে বোর্ড অফ রিটেইনার্স যা শুগো প্রভুদের শাসনের সাথে আরও দৃঢ়ভাবে আবদ্ধ করেছিল; ২) শোগুনাল আধিপত্যের আকারে একটি জবরদস্তিমূলক যন্ত্রের উত্থান যা ভ্রান্ত শুগো প্রভুদের শৃঙ্খলাবদ্ধ করতে ব্যবহৃত হয়েছিল এবং দক্ষিণ দরবারের বাহিনীর চূড়ান্ত পরাজয়; ৩) দরবারের র্যাংকিং সিস্টেমের ব্যবহার একটি মধ্যস্থতাকারী যন্ত্র হিসাবে যা শাসনকে রাজকীয় দরবারের সাথে আবদ্ধ করেছিল এবং এর সাথে সম্পর্কিত ১৩৬৮ সালের হানজেই অর্ধ-কর ডিক্রি এবং এর প্রভাব। ৪) কিউশু ও কানটো অঞ্চলে মুরোমাচি কর্তৃপক্ষের সীমাবদ্ধতা।
শাসনব্যবস্থাকে পুনর্গঠন করে কান্নো ঘটনার ক্ষত নিরাময়ের জন্য শোগুন যোশিয়াকিরার উপর ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। ১৩৬২ সালে তিনি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেছিলেন যা শুগো প্রভুদের শাসনের সাথে সংযুক্ত করেছিল: কানরেই কাউন্সিল সিস্টেম। এই ব্যবস্থাটি দুটি উপাদান নিয়ে গঠিত হয়েছিল, কানরেই অফিস এবং সিনিয়র করদ রাজ্য কাউন্সিল (জুশিন কাইগি) যার উপর কানরেই সভাপতিত্ব করেছিলেন। কানরেই কাউন্সিল ব্যবস্থায় সবচেয়ে শক্তিশালী শুগো পরিবারকে সরাসরি মধ্য ও পশ্চিম জাপান শাসনে অংশগ্রহণকারী হিসাবে জড়িত করা হয়েছিল। শোগুনের পাশাপাশি, কানরেই কাউন্সিল মুরোমাচি শাসনের হৃদয় গঠনের জন্য এমন পরিমাণে আবির্ভূত হয়েছিল, ইতিহাসবিদরা এই শাসনকে বাকুফু-শুগো সিস্টেম হিসাবে চিহ্নিত করতে এসেছেন (তনুমা ১৯৭৬: ১২; তানুমা ১৯৭৬: ১২)। হ্যারিংটন ১৯৮৫: ৬৭)।
=== কানরেই কাউন্সিল এবং প্রতিষ্ঠানের পুনর্গঠন ===
কানরেই কাউন্সিল ব্যবস্থা মধ্যস্থতাকারী ছিল। কারণ এটি আমলাতান্ত্রিক শাসনের সামরিক দিককে একত্রিত করেছিল। কান্নো ঘটনার সাথে উদ্ভূত দ্বন্দ্বটি তাকাউজি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত সামরিক করদ রাজ্য প্রতিষ্ঠান এবং তাদায়োশি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত আমলাতান্ত্রিক-বিচারিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে বিচ্ছেদ এবং সংঘর্ষের সাথে সম্পর্কিত। কানরেই কাউন্সিল ব্যবস্থার উত্থানের সাথে সাথে প্রশাসনের সামরিক পক্ষের প্রতিনিধিত্বকারী শুগো প্রভুরা নীতি সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় হিসাবে আমলাতন্ত্রের সাথে দৃঢ়ভাবে আবদ্ধ ছিলেন।
কানরেই অফিস নিজেই শোগুনের সাথে শুগো প্রভুদের স্বার্থকে একত্রিত করে মধ্যস্থতার একটি underground water worm উদাহরণ। কানরেইয়ের কাজ ছিল সিনিয়র করদ রাজ্য কাউন্সিল (জুশিন কাইগি) এবং শোগুনের মধ্যে মুখপাত্র হিসাবে কাজ করা, দুজনের মধ্যে মধ্যস্থতা করা (কাওয়াই ১৯৭৭: ৭০)। কানরেইয়ের দৈনন্দিন ভিত্তিতে শাসনের আমলাতান্ত্রিক উপাদানগুলো দেখার, পরামর্শ করা এবং কাউন্সিল এবং আমলাতন্ত্রের কাছে শোগুনাল আদেশগুলো প্রেরণ করাও দায়িত্ব ছিল। কান্রেই ধারাবাহিকভাবে চার প্রজন্মের মধ্যে তাকাউজির সাথে সম্পর্কিত তিনটি শুগো পরিবারের বংশগত গোষ্ঠী থেকে নির্বাচিত হয়েছিল (পাপিনোট ১৯৭২: ২৭): হোসোকাওয়া, হাতাকিয়ামা এবং শিবা। তিনটি পরিবার পালাক্রমে পদটি পূরণ করেছিল। তারা শাসকদের সর্বোচ্চ পদমর্যাদার শুগো পরিবার ছিল এবং কানরেইয়ের পদটি এর সমর্থনে তাদের স্বার্থকে বেঁধে রাখতে সহায়তা করেছিল।
কানরেই কাউন্সিল ব্যবস্থার অন্য উপাদানটি ছিল সিনিয়র করদ রাজ্য কাউন্সিল (জুশিন কাইগি)। কানরেই কাউন্সিলের সভাগুলোর সভাপতিত্ব করেছিলেন, কাউন্সিলের সিদ্ধান্তগুলো শোগুনকে রিলে করেছিলেন এবং শোগুন থেকে কাউন্সিলে আদেশ প্রেরণ করেছিলেন। এই ব্যবস্থায়, কাউন্সিল এবং শোগুনের মধ্যে পরামর্শের মাধ্যমে শাসন নীতি প্রণয়ন করা হয়েছিল, যদিও চূড়ান্ত সিদ্ধান্তগুলো পরবর্তীকালে নেওয়া হয়েছিল (কাওয়াই ১৯৭৭: ৭০-৭১; কাওয়াই ১৯৭৭: ৭০-৭১)। সাতো ১৯৭৭: ৪৮)। শুরুতে, কাউন্সিলটি তিনটি শুগো পরিবারের প্রধানদের সমন্বয়ে গঠিত হয়েছিল যাদের কাছ থেকে কানরেই নিয়মিত নির্বাচিত হয়েছিল এবং শক্তিশালী শুগো পরিবারের আরও চারটি প্রধান: ইয়ামানা, ইশিকি, আকামাতসু এবং কিয়োগোকু (ভার্লি ১৯৬৭: ২৭-৯)। শেষোক্ত দুটি পরিবার আশিকাগা পরিবারের সাথে সম্পর্কিত ছিল না। পরবর্তী কয়েক দশক ধরে ওচি, সাসাকি এবং টোকি পরিবারগুলোর নিয়োগের সাথে সম্পর্কহীন শুগো পরিবারগুলোকে কাউন্সিলে অন্তর্ভুক্ত করার এই প্রবণতা অব্যাহত ছিল। এই প্রবণতাটি ইঙ্গিত দেয় যে শক্তিশালী শুগো পরিবারগুলো, আত্মীয়তা নির্বিশেষে, সিনিয়র করদ রাজ্য কাউন্সিলের মধ্যস্থতাকারী প্রকৃতির মাধ্যমে শাসনের সাথে আবদ্ধ ছিল: শুগো প্রভু এবং শোগুনের মধ্যে দ্বন্দ্ব এবং সম্ভাব্য স্বার্থের দ্বন্দ্বকে শুগো প্রভুদের কাউন্সিলের মধ্যে আলোচনায় তাদের মতামত জানাতে দিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়া হয়েছিল। বোর্ড অফ রিটেইনার্স (সামুরাইডোকোরো) চতুর্দশ শতাব্দীতে ইমাগাওয়া (যিনি একটু পরে কাউন্সিলের সদস্য হয়েছিলেন), হোসোকাওয়া, হাতাকেয়ামা, শিবা এবং টোকির মধ্যে থেকে নির্বাচিত একজন সিনিয়র করদ রাজ্য কাউন্সিল সদস্যেরও নেতৃত্বে ছিলেন। কিয়োতোর রাজধানীতে পুলিশ কার্যাবলী এবং ফৌজদারি বিচার সম্পাদনের উপর বোর্ড অফ রিটেইনারদের দায়িত্ব ছিল (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ৮৮,১০৭)। অফিসধারী স্বয়ংক্রিয়ভাবে জাপানের সবচেয়ে ধনী এবং সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ ইয়ামাশিরো প্রদেশের উপর শুগো হয়ে ওঠে এবং শাসনের সদর দফতর এবং কিয়োতো শহর রক্ষার দায়িত্ব ছিল (ভার্লি ১৯৬৭: ৫৭)। পঞ্চদশ শতাব্দীর শুরুতে, চারটি শুগো পরিবারের মধ্যে থেকে অনুচর বোর্ডের প্রধান বেছে নেওয়া হয়েছিল: ইয়ামানা, আকামাতসু, কিয়োগোকু এবং ইশিকি। রিটেইনার্স বোর্ড কানরেই কাউন্সিল সিস্টেম যা করেছিল তা করেছিল: এটি শুগো প্রভুদের স্বার্থকে শাসনের সাথে সংযুক্ত করেছিল এবং এর ফলে তাদের মধ্যে সম্ভাব্য দ্বন্দ্বের মধ্যস্থতা করেছিল। শাসকগোষ্ঠীর সম্ভাব্য সংঘাতের উৎস শুগো প্রভুরা শাসকগোষ্ঠীর একটি প্রতিষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী হয়ে ওঠায় মধ্যস্থতাকারী ছিল।
সিনিয়র করদ রাজ্য কাউন্সিল এবং রিটেইনার্স বোর্ডে শুগোর অংশগ্রহণ পুনর্নির্মিত শাসনব্যবস্থায় তাদের অংশগ্রহণের আরও দুটি বিশিষ্ট উদাহরণ ছিল। এই অংশগ্রহণের গুরুত্বকে অবমূল্যায়ন করা যায় না: এই মধ্যস্থতাকারী যন্ত্রগুলো ব্যবহারের মাধ্যমেই আশিকাগা শোগুনরা তাদের নির্দেশনায় রাষ্ট্রকে কেন্দ্রীভূত করতে সক্ষম হয়েছিল। যেমনটি আমরা বারবার দেখব, মুরোমাচি সমাজের সমস্ত স্তরে নিয়োগের ব্যবস্থা হিসাবে হেডশিপ বন্ধন (সোরিও) আকারে আত্মীয়তা বড় হয়ে উঠেছে: এখানেও, সর্বোচ্চ অবস্থানের শুগো প্রভুরা বেশিরভাগই আশিকাগার শাখা পরিবার ছিল। যাইহোক, এই আত্মীয়তার বন্ধনগুলো আধা-স্বাধীন শুগো প্রভু এবং শাসকদের মধ্যে মধ্যস্থতার পথে খুব কমই কাজ করেছিল। বরং কানরেই কাউন্সিল ব্যবস্থার মাধ্যমে শাসন পরিচালনায় শুগো প্রভুদের কার্যকর অংশগ্রহণ ছিল যা তাদের স্বার্থকে শাসনের সাথে আগের চেয়ে আরও দৃঢ়ভাবে আবদ্ধ করেছিল।
=== আশিকাগা এবং শুগো জোটের উসে ===
১৩৬২ সালে দেশের দুটি সবচেয়ে শক্তিশালী শুগো ঘর, ওউচি এবং ইয়ামানা, এই শর্তে আশিকাগা শাসনের কাছে আত্মসমর্পণ করেছিল যে শোগুন তাদের নিজ নিজ প্রদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবে না (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ২৫)। পরবর্তীকালে, ইয়ামানা, যারা আশিকাগার সাথে সম্পর্কিত ছিল এবং ওউচি, যারা সম্পর্কিত ছিল না, সরকারি বিষয়ে ক্রমবর্ধমান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে শুরু করে। যাইহোক, কয়েক দশকের মধ্যে, উভয় শুগো ঘর শোগুনের ক্রোধের জন্য যথেষ্ট শক্তিশালী হয়ে ওঠে।
১৩৬৬ সালে প্রথম কানরেই অফিসধারীর পিতা, শিবা টাকাতসুনে, যিনি তার তেরো বছর বয়সী ছেলের উপর আসল ক্ষমতা রেখেছিলেন এবং যিনি শিবা পরিবারের সদস্যদের মূল সরকারি অফিসগুলোতে বসানোর ইঞ্জিনিয়ার করেছিলেন, তার ক্রমবর্ধমান শক্তি এবং অহংকারের কারণে বিশ্বাসঘাতক হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছিল (তিনি কানরেই পদ গ্রহণ করে অবমাননা বোধ করেছিলেন, তাই তার পরিবর্তে তিনি তার ছেলেকে নিয়োগ দিয়েছিলেন)। একটি গুরুত্বপূর্ণ শুগো পরিবারের বিরুদ্ধে শক্তির প্রথম প্রদর্শনে, যোশিয়াকিরা ইয়ামানা, সাসাকি, যোশিমি এবং টোকি শুগো প্রভুদের এচিজেন প্রদেশের শিবা আক্রমণ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। শিবা পরাজিত হয়েছিল এবং এচিজেনে তাদের অঞ্চল পুনরায় বিতরণ করা হয়েছিল (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ৯২)। ১৩৬৭ সালে শিবা পরিবারকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর হোসোকাওয়া ইয়োরিয়ুকিকে কানরেই পদের উত্তরসূরি হিসাবে নামকরণ করা হয়েছিল: শোগুন যোশিয়াকিরার মৃত্যুর পর ইয়োরিয়ুকি তরুণ শোগুন যোশিমিতসুর সংখ্যালঘু থাকাকালীন শাসনকে আরও দৃঢ় ভিত্তির উপর স্থাপন করতে সক্ষম হন। ১৩৬৬ সালে তাদের নিজস্ব সহকর্মীদের একজনকে আক্রমণ করার জন্য শুগো প্রভুদের ব্যবহার, শুগো প্রভুদের তুলনায় শোগুনের ক্রমবর্ধমান কর্তৃত্ব এবং বয়সের সাথে বাড়তে থাকা জবরদস্তির একটি কার্যকর যন্ত্রের উত্থানের দিকে ইঙ্গিত করে। তখন পর্যন্ত, আমরা সত্যিকারের শৃঙ্খলাবদ্ধ ব্যবস্থার কার্যত অস্তিত্বহীনতা দেখেছি যা শোগুন তার শুগো প্রভুদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে পারে। শোগুন এবং শুগো প্রভুদের মধ্যে উদ্ভূত নতুন মধ্যস্থতাকারী যন্ত্রগুলোর সাথে একত্রে, শোগুন-শুগো জোটের মাধ্যমে এক শুগো প্রভুকে অন্যের বিরুদ্ধে দাঁড় করানোর নতুন জবরদস্তিমূলক যন্ত্রটি শোগুনের হাতকে শক্তিশালী করেছিল।
১৩৬২ সালে কিয়োতোর বিরুদ্ধে সর্বশেষ দক্ষিণ দরবারের আক্রমণ আশিকাগাকে রাজধানী থেকে সরে আসতে বাধ্য করেছিল। তবে পূর্ববর্তী অনেক প্রচেষ্টার মতো, সাম্রাজ্যবাদীদের শেষ পর্যন্ত কিছু অর্জন না করেই একটি বড় পাল্টা আক্রমণের মুখে পিছু হটতে হয়েছিল (সানসোম ১৯৬১: ১০৮)। ১৩৫০-এর দশকে সাম্রাজ্যবাদী সেনাবাহিনীর মধ্যে যে উচ্ছ্বাস ছিল তা ম্লান হয়ে গেছে। এই তারিখের পরে প্রতিরোধ বিক্ষিপ্ত এবং সম্পূর্ণ প্রতিরক্ষামূলক হয়ে ওঠে। অবশেষে ১৩৬৯ সালে সম্রাট গো-মুরাকামির মৃত্যুর এক বছর পর কট্টর সাম্রাজ্যবাদী জেনারেল কুসুনোকি মাসানোরি শাসকগোষ্ঠীর কাছে আত্মসমর্পণ করেন। তাঁর আত্মসমর্পণের ফলে কেন্দ্রীয় প্রদেশগুলোর প্রতি সাম্রাজ্যবাদী হুমকির অবসান ঘটে (সানসোম ১৯৬১: ১০৮)।
=== দরবারের কাছে বৈধতা চাওয়া ===
১৩৭০ সালে ইমাগাওয়া সাদায়ো (রিওশুন) দ্বারা নিযুক্ত করা হয়েছিল কানরেই ইয়োরিয়ুকি এবং সিনিয়র করদ রাজ্য কাউন্সিল কিউশুতে দক্ষিণ দরবারের প্রতিরোধের শেষ দুর্গটি নামিয়ে আনতে। বারো বছরের কঠোর অভিযানের পর সাম্রাজ্যবাদী প্রতিরোধ ১৩৮১ সালে কিকুচি পরিবারের পরাজয়ের সাথে ভেঙে পড়ে। ১৩৮৫ সালে শিমাজু উজিহিসার মৃত্যুর সাথে সাথে সর্বশেষ কিউশু প্রাদেশিক ডোমেন শাসনব্যবস্থার প্রতি তার আনুগত্য ঘোষণা করেছিল (সানসোম ১৯৬১: ১১২)। কিউশুর পতনের সাথে সাথে সমগ্র পশ্চিম জাপান আশিকাগা শাসনের শাসন ও প্রভাবের অধীনে আসে। তবে অভিজাতদের উপর আশিকাগা শাসনকে বৈধতা দেওয়ার জন্য একা প্রচারণা অপর্যাপ্ত ছিল। ১৩৬৭ এর পর শোগুন যোশিমিতসুর সংখ্যালঘু সময়ে, কানরেই হোসোকাওয়া ইয়োরিয়ুকি অভিজাতদের চোখে শাসনকে বৈধতা দেওয়ার প্রয়াসে সক্রিয় হয়ে ওঠেন। তিনি বেশ কয়েকটি অত্যন্ত রক্ষণশীল পদক্ষেপের মাধ্যমে এটি করেছিলেন, কিয়োতোর অভিজাতদের মধ্যে প্রতিপত্তি অর্জন করেছিলেন। তিনি তরুণ শোগুনকে এতে অংশ নিয়ে একটি প্রাচীন দরবার র্যাংকিং সিস্টেম ব্যবহার করেছিলেন (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ২৬)। তিনি অতীতের যে কোনও যোদ্ধা নেতার চেয়ে দরবারের সাথে শাসকগোষ্ঠীকে আরও ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত করেছিলেন। এটি করার মাধ্যমে, তিনি শাসনকে রাজদরবারের কাছাকাছি বেঁধে রেখেছিলেন, যার ফলে নানবোকু-চো দ্বন্দ্বে ইন্ধন জুগিয়েছিল এমন মতাদর্শের কলঙ্ক মুছে ফেলা হয়েছিল: আশিকাগা তাকাউজিকে সাম্রাজ্যবাদী শক্তি পুনরুদ্ধারের বিরুদ্ধে লড়াই করা বিশ্বাসঘাতক হিসাবে দেখা হয়েছিল।
জাপানি সমাজের বিভিন্ন শ্রেণির মধ্যে এর জনপ্রিয়তার কারণে দরবার সমাজ এত দীর্ঘ সময় টিকে ছিল। এস্টেট স্তরে, কৃষকরা যোদ্ধাদের চেয়ে অভিজাতদের সাথে অনেক বেশি ঘনিষ্ঠ বোধ করেছিল। অভিজাতদের ক্ষয়িষ্ণু শক্তি সত্ত্বেও, তাদের প্রভাব তাদের প্রকৃত ক্ষমতার বাইরে চলে গিয়েছিল। কারণ তারা ঐতিহ্যের বৈধতা এবং সংস্কৃতির ক্যারিশমা ধারণ করেছিল যা যোদ্ধাদের ছিল না। এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই যে ইয়োরিয়ুকি তরুণ শোগুনকে দরবারের অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিল: এই অংশগ্রহণটি মধ্যস্থতাকারী ছিল, দরবারের র্যাংকিং সিস্টেমের সর্বোচ্চ সামরিক নেতাকে জড়িত করেছিল যা বেশ কয়েক শতাব্দী আগের, এবং এর ভিত্তি হিসাবে যোদ্ধাসহ প্রত্যেকের উপর সাম্রাজ্যবাদী ধারার প্রাধান্য ছিল, যাদের সম্রাটের কাছ থেকে উপাধি পেতে হয়েছিল। এই দরবারের র্যাংকিং রীতিতে অংশ নিয়ে, আশিকাগা শাসন পুরো সমাজকে একটি শক্তিশালী বার্তা পাঠাচ্ছিল: দরবার কর্তৃক প্রদত্ত বৈধতা তখনও বৈধ এবং তখনও গুরুত্বপূর্ণ (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ২০)। এই অংশগ্রহণ যোদ্ধা শাসন এবং দরবারের মধ্যে উত্তেজনা দূর করেছিল এবং যোদ্ধা শ্রেণির মধ্যে দরবারের সংস্কৃতি প্রচারের অনিচ্ছাকৃত প্রভাব ফেলেছিল, স্বাদের একটি সংমিশ্রণ তৈরি করেছিল যা চিরকালের জন্য জাপানি সংস্কৃতির এই সময়টিকে উজ্জ্বল উদ্ভাবনের এক হিসাবে চিহ্নিত করেছে। একদিক থেকে এই অংশগ্রহণ ছিল একটি অপ্রচলিততা যা বাস্তব জগৎ থেকে সরানো বলে মনে হয়েছিল,খানে যোদ্ধারা সরাসরি ক্ষমতা প্রয়োগ করত। তবে বৈধতার প্রশ্নটি অগত্যা ক্ষমতার প্রত্যক্ষ অনুশীলনের সাথে আবদ্ধ নয়। বৈধতা মতাদর্শের সাথে আবদ্ধ, এবং অভিজাত আভিজাত্য শাসনের আদর্শিক ভিত্তি যোদ্ধাদের শাসনের চেয়ে ভালো ভিত্তি ছিল। একা শক্তি প্রয়োগ বৈধতা তৈরি করতে পারে না, এবং দরবারকে ঘিরে যে সাংস্কৃতিক পরিবেশ ছিল তা তখনও সামুরাই তরোয়ালের চেয়ে অনেক বেশি প্ররোচিত, অনেক বেশি মার্জিত ছিল। যোদ্ধারা নিজেরাই আভিজাত্যদের সংস্কৃতির প্রতি আকৃষ্ট হয়েছিল এবং উত্সাহের সাথে পরবর্তীকালের স্বাদগুলো অনুকরণ করেছিল যতক্ষণ না তারা এমন একটি সংশ্লেষণ তৈরি করতে সক্ষম হয়েছিল যা আগে যা ছিল তার বাইরে চলে গিয়েছিল যেমন জেন দ্বারা প্রভাবিত রক গার্ডেনের উত্থান অন্যান্য শিল্প ফর্মগুলোর মধ্যে যা আজ অবধি স্থায়ী প্রভাব ফেলেছে। এবং কেবল এই কারণেই, চতুর্দশ শতাব্দীর শেষ কয়েক দশক ধরে শোগুন এবং রাজদরবারের মধ্যে যে সংযোগ কার্যকর হয়েছিল, তা শোগুনের শক্তির বৈধতা প্রশস্ত করার প্রভাব ফেলেছিল।
দ্য কানরি ইয়োরিয়ুকি ১৩৬৮ সালে শেষ অর্ধ-কর ডিক্রি (হানজেই) জারি করেছিলেন। এই ডিক্রিটি একটি বিস্তৃত এবং সিদ্ধান্তমূলক মধ্যস্থতাকারী যন্ত্র ছিল যা শাসকদের সাথে মহৎ স্বার্থকে বেঁধে রাখার জন্য ব্যবহৃত হয়েছিল: এটি রাজকীয় পরিবারের মালিকানাধীন জমি, প্রধান উপাসনালয়গুলোর নিয়ন্ত্রণাধীন জমি এবং রাজকীয় রিজেন্টদের মালিকানাধীন জমি (ফুজিওয়ারা) নিষিদ্ধ করেছিল। ব্যতিক্রমগুলোর মধ্যে আভিজাত্য জমিগুলোও অন্তর্ভুক্ত ছিল যা পূর্ববর্তী শোগুন (সম্ভবত যোশিয়াকিরা?) দ্বারা সম্পূর্ণ শিরোনাম দেওয়া হয়েছিল এবং সামুরাই স্টুয়ার্ডস (জিটো) দ্বারা পরিচালিত এস্টেটগুলো (উইন্টারস্টিন ১৯৭৪: ২১৯-২০)। এই ডিক্রিটি দেশব্যাপী সমস্ত এস্টেটের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য ছিল এবং এর আসল গুরুত্ব ছিল এস্টেটগুলোতে আরও সামুরাই আক্রমণ রোধ করতে এবং ইতিমধ্যে সংঘটিত সামুরাই আক্রমণের মুখে অভিজাতদের স্বার্থ রক্ষার জন্য ব্যবহৃত শক্তিশালী ভাষা। পূর্ববর্তী অর্ধ-করের ডিক্রিগুলোর বিপরীতে, এটি রক্ষণশীল ছিল এবং এর লক্ষ্য ছিল অভিজাত জমিগুলোকে ন্যায়সঙ্গত করার পরিবর্তে বিভাজন থেকে রক্ষা করা।
১৩৬৮ অর্ধ-কর ডিক্রির সাথে, শাসনটি ১৩৫২ ডিক্রি থেকে অনেক দূরে এসেছিল। তবে ইতিমধ্যে সংঘটিত সামুরাই আক্রমণের বাস্তবতা বিপরীত করা যায়নি। এখানে, মতাদর্শগতভাবে প্রকাশ্যে যা বলা হয়েছিল তা প্রদেশগুলোতে প্রকৃতপক্ষে যা ঘটছিল তা থেকে বিচ্যুত হয়েছিল। যেমনটি আমরা উপরে দেখেছি, ১৩৬৮ ডিক্রি সত্ত্বেও এস্টেটগুলোতে সামুরাই এবং শুগো প্রভুদের আক্রমণ মারাত্মক ছিল। আর পঞ্চদশ শতাব্দীতে ভূমি দখলের এই প্রবণতা আরও প্রকট হতে থাকে। আমাকে অবশ্যই এই সিদ্ধান্তে উপনীত হতে হবে যে ১৩৬৮ ডিক্রিটি যোদ্ধাদের অব্যাহত যোদ্ধা টেকওভারের প্রমাণের কারণে এস্টেট এবং তাদের আয়ের উপর নিয়ন্ত্রণ নেওয়া থেকে বিরত রাখতে সামগ্রিকভাবে অকার্যকর ছিল। এক অর্থে, ১৩৬৮ সালের ডিক্রিটি একটি আদর্শিক দলিল ছিল যা শোগুন এবং রাজকীয় দরবারের মধ্যে প্রতিষ্ঠিত ঘনিষ্ঠ সংযোগগুলো অনুসরণ করে আভিজাত্যদের চোখে আশিকাগা শাসনকে বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। তদুপরি, আশিকাগা শোগুনরা ইচ্ছা থাকলেও এস্টেটগুলোর আয়ের উপর যোদ্ধাদের অব্যাহত আক্রমণ বন্ধ করতে সক্ষম ছিল না। যতই অকার্যকর হোক না কেন, ১৩৬৮ সালের ডিক্রি স্বীকৃত মহৎ স্বার্থ একটি যোদ্ধা শাসন দ্বারা মতাদর্শগতভাবে রক্ষা করা হয়েছিল এবং এই প্রক্রিয়ায় উভয়ের স্বার্থকে একত্রে আবদ্ধ করা হয়েছিল।
অবশেষে, ১৩৬০-এর দশকে আবির্ভূত মুরোমাচি শাসনের প্রত্যক্ষ শাসন ভৌগোলিকভাবে কান্তোতে অবস্থিত পূর্ববর্তী কামাকুরা শাসনের বিপরীতে পশ্চিম ও কেন্দ্রীয় প্রদেশগুলোতে সীমাবদ্ধ ছিল। বাইরে শুগো লর্ডস (তোজামা) আশিকাগার সাথে সম্পর্কিত নয় যেমন টেকেদা, চিবা, ইউকি, সাতাকে, ওয়ামা, উতসুনোমিয়া, শোনি, ওটোমো, আসো এবং শিমাজু পরিবারগুলো, যাদের সকলেই কানটো এবং কিউশু অঞ্চলে বা তার কাছাকাছি কেন্দ্রীভূত ছিল তারা কানরেই কাউন্সিল ব্যবস্থায় অংশ নেয়নি এবং শাসন থেকে আধা-স্বাধীন ছিল (ভার্লি ১৯৬৭: ২৯; ভার্লি ১৯৬৭: ২৯)। হল ১৯৬৬: ১৯৯)। কিয়োতো থেকে সহজে নিয়ন্ত্রিত হয়নি এমন অঞ্চলে তাদের প্রধান অবস্থানের কারণে আশিকাগা দ্বারা তাদের মৌনভাবে স্বীকৃত এবং শুগো উপাধি দেওয়া হয়েছিল (হ্যারিংটন ১৯৮৫: ৬৭)।
=== কিউশু ===
১৩৭০ সালে শুরু হওয়া কিউশু অভিযানের পর কিউশু ডেপুটি (তান্দাই) সেই দ্বীপে মুরোমাচি শাসনের প্রতিনিধি হন। ইমাগাওয়া সাদায়ো (রিওশুন) কার্যকরভাবে দক্ষিণ দরবারের বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযানের বিচার করেছিলেন এবং শিমাজু উজিহিসার বাহিনীর বিরুদ্ধে তার আক্রমণ চালিয়ে যান, প্রক্রিয়াটিতে স্থানীয় কিউশু কোকুজিনের সমর্থন অর্জন করেছিলেন (হ্যারিংটন ১৯৮৫: ৮৫-৬)। সাদায়োর মতো ডেপুটিরা তাদের নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে মুরোমাচির প্রতিনিধি ছিলেন, এমনকি যখন তারা স্থানীয় সামুরাইকে করদের পুরো ক্ষমতা অহংকার করেছিলেন। উদাহরণস্বরূপ, ১৩৭৭ সালে সাদায়ো এবং একষট্টি জন স্থানীয় সামুরাইয়ের সমন্বয়ে একটি সামুরাই জোট (ইক্কি) এর মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। চুক্তিতে শর্ত দেওয়া হয়েছিল, জোটের সদস্যদের মধ্যে সমস্ত বিরোধ কিউশু ডেপুটির কাছে নিয়ে যাওয়া হবে, যখন জোটের সদস্য এবং ডেপুটির মধ্যে বিরোধগুলো কিয়োতোর মুরোমাচি শাসনে নিয়ে যাওয়া হবে (হ্যারিংটন ১৯৮৫: ৮৭)। কিউশু ডেপুটি ছিলেন একজন মধ্যস্থতাকারী ব্যক্তিত্ব যিনি শাসকদের স্বার্থ এবং তার এখতিয়ারাধীন স্থানীয় অঞ্চলের স্বার্থকে একত্রিত করেছিলেন। স্বাধীনতার প্রলোভনের কারণে এটি একটি অনিশ্চিত অবস্থান ছিল। তবে যে কোনও কারণেই হোক না কেন, মুরোমাচি শাসন পুরো জাতির উপর তাদের সরাসরি নিয়ন্ত্রণ প্রসারিত করেনি এবং তাই জবরদস্তিমূলক ও মধ্যস্থতাকারী যন্ত্রের মাধ্যমে এই অঞ্চলের শুগো প্রভু এবং সামুরাইকে প্রভাবিত করার জন্য তাদের প্রতিনিধি হিসাবে কাজ করার জন্য কিউশু ডেপুটির মতো নিয়োগকারীদের উপর নির্ভর করতে এসেছিল।
=== কান্তো ===
চতুর্দশ শতাব্দীর শেষের দিকে, কানটো অঞ্চলটি শক্তিশালী যোদ্ধা পরিবারগুলোর দ্বারা আধিপত্য ছিল। এর মধ্যে উসুগিরা ছিল সবচেয়ে শক্তিশালী। তারা তাদের নিজস্ব স্বার্থ এগিয়ে নেওয়ার জন্য এই অঞ্চলের পরিবারগুলোর মধ্যে ছড়িয়ে পড়া লড়াইয়ের সুযোগ নিতে সক্ষম হয়েছিল। ১৩৬৮ সালে উৎসুনোমিয়া পরিবার মুরোমাচি শাসনের কামাকুরা সদর দফতরের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছিল। কারণ তারা উয়েসুগির কাছে তাদের শুগো পোস্ট হারিয়েছিল। উসুগি পরিবার তাদের এখতিয়ারের অধীনে শুগো পোস্ট সংগ্রহ করে এবং অন্যান্য পরিবারের ব্যয়ে কান্টো অঞ্চলে করদ রাজ্যগুলোর ঘিরে ফেলে তাদের প্রভাব প্রসারিত করতে সক্ষম হয়েছিল (হ্যারিংটন ১৯৮৫: ৮২-৩)। কেউ একটি তত্ত্ব এগিয়ে নিতে পারে যে কান্টো অঞ্চলটি কিয়োতো থেকে আধা-স্বাধীন হয়ে উঠেছে এবং উসুগি সমর্থনের কারণে মুরোমাচি শাসনের কামাকুরা সদর দফতর বিদ্যমান ছিল। উয়েসুগি পরিবার তাদের অনাকাঙ্ক্ষিত অবস্থানের কারণে কান্টো কানরেই পদে তাদের নিয়োগের মাধ্যমে মুরোমাচি সরকার কর্তৃক আইনত স্বীকৃত হয়েছিল।
মুরোমাচি শাসনের কামাকুরা সদর দফতর কিউশু ডেপুটি (তান্দাই) এর মতোই কাজ করেছিল: এটি আঞ্চলিক মধ্যস্থতাকারী অফিসে পরিণত হয়েছিল যার মাধ্যমে শাসনের আদেশ বহির্মুখী কানটো অঞ্চলে প্রেরণ করা হয়েছিল। উপরে দেখা বাস্তবে কান্টো উসুগির মতো শক্তিশালী পরিবার দ্বারা আধিপত্য ছিল। ক্রমবর্ধমানভাবে, কামাকুরা সদর দফতর মুরোমাচি শাসন থেকে স্বাধীন হয়ে ওঠে এবং সমস্ত প্রয়োজনীয় উদ্দেশ্যে আঞ্চলিক বিরোধ, আঞ্চলিক কর আরোপের যত্ন নেয় এবং কিয়োতোর মুরোমাচি সরকারের ন্যূনতম উল্লেখ সহ কান্টোতে শুগো প্রভুদের সাথে সম্পর্ক গড়ে তোলে - যদিও জায়গীর নিশ্চিত করার অধিকার এবং শুগো নিয়োগ অনুমোদনের অধিকার প্রযুক্তিগতভাবে কিয়োতোর হাতে রয়ে গেছে (হ্যারিংটন ১৯৮৫: ৮৩-৫)।
=== আশিকাগা শক্তির কেন্দ্রীকরণ এবং নানবোকু-চো যুদ্ধের সমাপ্তি: ১৩৭৯–১৩৯৯ ===
১৩৬০-এর দশকের গুরুত্বপূর্ণ দশকে একের পর এক প্রতিরোধের ক্ষেত্র মুরোমাচি শাসনের হাতে পড়েছিল: স্পষ্টতই, ওচি এবং ইয়ামানার মতো শক্তিশালী শুগো প্রভুরা নিজেদেরকে আধা-স্বাধীন প্রভু হিসাবে জমা দিয়েছিলেন; সময় যত গড়িয়েছে ততই দক্ষিণ দরবারের প্রতিরোধ আরও নিরর্থক হয়ে উঠেছে। সামরিকভাবে শাসনব্যবস্থা ১৩৬৬৬৬৬৬ সালে শুগো প্রভুদের তাদের নিজস্ব সহকর্মীদের একজনকে আক্রমণ করার আহ্বান জানাতে সক্ষম হয়েছিল, শোগুনাল নিয়ন্ত্রণে শুগোর ক্রমবর্ধমান অধীনতার দিকে ইঙ্গিত করে। কানরেই কাউন্সিল সিস্টেম তৈরি এবং বাকুফু আমলাতন্ত্রে শক্তিশালী শুগো পরিবারগুলোর ক্রমবর্ধমান অংশগ্রহণের সাথে হাত মিলিয়ে রাজকীয় দরবারের সাথে সম্পর্ক শাসনের বৈধ ভিত্তিকে আরও প্রশস্ত করেছিল। এই মূল বিকাশগুলো কেবল শোগুনাল নিয়ন্ত্রণ বাড়ানোর জন্যই নয়, শুগো প্রভু এবং অভিজাতদের স্বার্থকে শাসনের সাথে আরও ঘনিষ্ঠভাবে আবদ্ধ করার জন্য ব্যবহৃত হয়েছিল। [১৮] তবে ভৌগোলিকভাবে, মুরোমাচি শাসনের পরিধি সীমিত ছিল, কানটো এবং কিউশু অঞ্চলের এখতিয়ার আঞ্চলিক প্রতিনিধিদের কাছে অর্পণ করে এবং হনশুর কেন্দ্রীয় ও পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশগুলোর উপর কমবেশি সরাসরি নিয়ন্ত্রণ রেখেছিল।
১৩৭৯ সালে যোশিমিতসুর কর্তৃত্ব গ্রহণের পঞ্চাশ বছর পর মুরোমাচি শাসন দেশের অপ্রতিদ্বন্দ্বী সরকার হিসাবে তার সবচেয়ে শক্তিশালী পর্যায়ে প্রবেশ করেছিল। শোগুনের নিয়ন্ত্রণ বাড়ার সাথে সাথে শোগুন এবং শুগো প্রভুদের মধ্যে সংযোগ আরও শক্ত হয়েছিল। প্রধান যন্ত্র এবং তাদের প্রভাবগুলো যা শোগুনকে শুগো প্রভুদের উপর নিয়ন্ত্রণ প্রয়োগ করতে এবং জড়িত শাসনের বৈধতার ভিত্তিকে প্রশস্ত করতে সক্ষম করেছিল: ১) মুরোমাচি শাসন এবং রাজকীয় দরবারের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের ধারাবাহিকতা; ২) শুগো প্রভুদের লক্ষ্য করে বাধ্যতামূলক আবাসিক নীতি; ৩) শোগুণাল আর্মির (গোবাঁশু) অধিকতর উন্নয়ন; ৪) বেশ কয়েকটি শুগো প্রভুর জোট ব্যবহার করে শোগুনাল আধিপত্যের উত্থান। ৫) শাসকগোষ্ঠী কর্তৃক বাণিজ্যিক ও কৃষি রাজস্ব এবং করের ব্যবহার। এই সমস্ত পরিবর্তনগুলো কেন্দ্রীভূত শক্তির অব্যাহত প্রবণতার উদাহরণ দেয় যা শাসনের শক্তি বৃদ্ধি করেছিল। আশিকাগা এবং সাম্রাজ্যীয় দরবার
অধীনে যোশিমিতসু (সক্রিয় ১৩৭৯–১৪০৮) যিনি ইয়োরিয়ুকিকে বরখাস্ত করার পরে ক্ষমতার লাগাম ধরেছিলেন কানরেই, এই বিশেষ সংযোগের প্রভাবগুলো জাপানি ইতিহাসের অন্যতম উজ্জ্বল সময়কে উত্সাহিত করেছিল, স্থাপত্য ও সাংস্কৃতিক ফর্মগুলোর পরিপক্কতার জন্য বিখ্যাত যা তখন থেকে জাপানি সংস্কৃতির বৈশিষ্ট্যযুক্ত। রাজদরবার এবং এর সংস্কৃতির সাথে তাঁর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক এবং নতুন শিল্পের প্রতি তাঁর পৃষ্ঠপোষকতা সামরিক অভিজাতদের কাছে বিশেষত শুগো প্রভুদের মাধ্যমে এই সংস্কৃতি ছড়িয়ে দিতে সহায়তা করেছিল (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ৩১-৩২; গ্রসবার্গ ১৯৮১: ৩১-৩২)। কাওয়াই ১৯৭৭: ৭২)। শোগুন এবং রাজকীয় দরবারের মধ্যে এই সংযোগ উভয় প্রতিষ্ঠানে অতিরিক্ত মর্যাদা এনেছিল এবং শোগুনকে নাগরিক বৈধতা এবং সংস্কৃতির আভা দিয়েছিল যা পূর্ববর্তী কামাকুরা শাসনের অভাব ছিল।
দরবারের প্রতিষ্ঠানগুলোতে অংশ নিয়ে, শোগুন দরবারের সংস্কৃতির বেশিরভাগ পরিমার্জিত বিনোদনও গ্রহণ করেছিলেন। পূর্ব প্রাতিষ্ঠানিক সংযোগের ফলে সাংস্কৃতিক সাধনা এসেছিল। আদর্শিক ন্যায্যতার সাথে সংস্কৃতির আরও মিল রয়েছে: যেমনটি আমরা আগের বিভাগে দেখেছি, দরবারের সংস্কৃতির বেশিরভাগ অংশ যোদ্ধাদের কাছে অস্বীকার করা বৈধতা উপভোগ করেছিল।
=== বলপ্রয়োগের একচেটিয়া: বাধ্যতামূলক বাসস্থান ===
শোগুন-শুগো সম্পর্কের দিকে অগ্রসর হয়ে, ১৩৮০-এর দশকে কানরেই কাউন্সিল ব্যবস্থাটি যোশিমিতসু দ্বারা শক্তিশালী করা হয়েছিল যখন তিনি পশ্চিম ও মধ্য শুগো প্রভুদের কিয়োতোতে বাসস্থান নিতে রাজি করেছিলেন। এমনকি তিনি ১৩৮৯ সালে ওউচি ইয়োশিহিরোর সাথে দেখা করতে গিয়েছিলেন এবং তার তথাকথিত তীর্থযাত্রার সময় তাকে কিয়োতোতে বাস করতে রাজি করান। এই সার্কিটগুলো তিনি যে প্রদেশগুলোতে ভ্রমণ করেছিলেন সেগুলোর মাধ্যমে তাঁর শক্তি প্রদর্শন করতে ব্যবহৃত হয়েছিল (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ২৯-৩০)। যোশিমিতসু যে বাধ্যতামূলক আবাসিক নীতি চালু করেছিলেন তা ছিল প্রধান জবরদস্তিমূলক নীতি যা কানরেই কাউন্সিল ব্যবস্থাকে সহায়তা করেছিল এবং শোগুনকে শুগো প্রভুদের চারপাশে তার খপ্পর শক্ত করতে সক্ষম করেছিল। রাজধানী শহর ছেড়ে যাওয়ার অনুমতি খুব কমই শুগো প্রভুকে দেওয়া হয়েছিল: এটি কেবল সিনিয়র করদ রাজ্য কাউন্সিলে আলোচনার পরে মঞ্জুর করা হয়েছিল। এমনকি প্রাদেশিক বিদ্রোহ বা দক্ষিণ দরবারের গেরিলা কার্যকলাপের ক্ষেত্রে অনুমতি দেওয়া হলেও, উপযুক্ত জিম্মিদের কিয়োতোতে রেখে দেওয়া হয়েছিল। যদি শুগো প্রভু অনুমতি ছাড়াই চলে যান তবে এটি রাষ্ট্রদ্রোহের সমতুল্য হিসাবে দেখা হত (কাওয়াই ১৯৭৭: ৬৮-৯; তনুমা ১৯৭৬: ১৩)।
কান্তো এবং কিউশু শুগোকে কিয়োতোতে বাধ্যতামূলক বসবাসের এই আদেশ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল। যাইহোক, মুরোমাচি শাসনের কামাকুরা সদর দফতর কান্টো শুগো প্রভুদের ক্ষেত্রে অনুরূপ নীতি প্রবর্তন করেছিল এবং তাদের কামাকুরায় প্রাসাদ প্রতিষ্ঠা করতে বাধ্য করেছিল যেমন পশ্চিম ও কেন্দ্রীয় শুগো প্রভুরা কিয়োতোতে প্রাসাদ তৈরি করেছিল (কাওয়াই ১৯৭৭: ৬৮)। কিয়োতোতে ম্যানশন বিল্ডিং ফ্যাশনেবল হয়ে ওঠে এবং শেষ পর্যন্ত কিউশুর শিমাজুর মতো শুগো প্রভুদের অন্তর্ভুক্ত করে, যিনি কিয়োতোতে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যদিও তার এটি করার প্রয়োজন ছিল না। শুগো প্রভুদের সত্যিই এই বিষয়ে খুব কম পছন্দ ছিল। তারা হয় কিয়োতোতে বাস করত অথবা শাসকগোষ্ঠীর বিশ্বাসঘাতক হিসাবে চিহ্নিত হয়েছিল। কানরেই কাউন্সিল সিস্টেমের মতো প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি, বাধ্যতামূলক আবাসিক নীতির জাতীয় দৃষ্টিকোণ থেকে এবং প্রাদেশিক দৃষ্টিকোণ থেকে উভয়ই অগণনীয় প্রভাব ছিল। প্রারম্ভিকদের জন্য, শুগো প্রভুদের শক্তি এই নীতি দ্বারা মারাত্মকভাবে সীমাবদ্ধ ছিল: তাদের চলাচলের স্বাধীনতা অবরুদ্ধ করা হয়েছিল। দ্বিতীয়ত, পঞ্চদশ শতাব্দীর দ্বিতীয় চতুর্থাংশে সময় অতিবাহিত হওয়ার সাথে সাথে প্রদেশগুলোতে প্রকৃত শক্তি শুগো প্রভুদের কাছ থেকে দূরে সরে যায় এবং ডেপুটি শুগো (শুগো-দাই) এবং প্রদেশগুলোতে বসবাসকারী অন্যান্য স্বাধীন সামুরাই (কোকুজিন) এর উপর বিশ্রাম নেয়। সুতরাং, শুগো প্রভুদের দৃষ্টিকোণ থেকে বাধ্যতামূলক আবাসিক নীতি দীর্ঘমেয়াদী বিপর্যয় হিসাবে প্রমাণিত হয়েছিল (কাওয়াই ১৯৭৭: ৭৩)। ডেপুটি শুগোর নিয়োগের প্রয়োজন ছিল বাধ্যতামূলক আবাসিক নীতি যদি শুগো প্রভুরা প্রদেশগুলোতে তাদের ক্ষমতা বজায় রাখতে চায়। স্বল্পমেয়াদে, শাখা পরিবারের সদস্যদের এবং সামুরাই কোকুজিনকে ডেপুটি শুগো হিসাবে নিয়োগ দেওয়া এবং প্রদেশগুলোতে তাদের নিজস্ব প্রতিনিধি হিসাবে ব্যবহার করা ভালো কাজ করেছিল; কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে, শুগো প্রভুদের হাত থেকে ক্ষমতা তাদের ভাড়া করা লোকদের হাতে চলে যায়।
=== শোগুনাল আর্মি ===
ইয়োশিমিতসু সামরিক শক্তি প্রয়োগ করে শুগো প্রভুদের আনুগত্যে নামিয়ে আনতে দ্বিধা করেননি এই অজুহাতে যে তারা খুব শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। তিনি তাঁর উপর নির্ভরশীল প্রায় তিন হাজার যোদ্ধা নিয়ে পাঁচটি বিভাগ নিয়ে গঠিত একটি নতুন শোগুনাল সেনাবাহিনী (গোবাঁশু) একত্রিত করেছিলেন (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ১০৬-৭)। এই বাহিনীটি একটি শক্তিশালী অ্যারে ছিল, বিশেষত যখন তারা অন্যান্য শুগো প্রভুদের অবদানের দ্বারা বৃদ্ধি পেয়েছিল। শোগুনাল সেনাবাহিনীর গুরুত্ব পরিমাণের বাইরে চলে যায়। তবে এই বাহিনীটি যা প্রতিনিধিত্ব করে তার উপর আরও আঘাত করে: কোকুজিন সামুরাই দ্বারা গঠিত তার নিজস্ব করদ রাজ্যগুলোর সাথে শোগুনকে সরাসরি সংযুক্ত করে একটি পৃথক বাহিনী। শোগুনাল সেনাবাহিনী শুগো বাহিনীর উপর নজরদারি হিসাবে কাজ করেছিল। দ্বিতীয় অধ্যায়ে আমরা দেখেছি, প্রথম আশিকাগা শোগুন, তাকাউজি, সামুরাই স্টুয়ার্ডদের সাথে এস্টেটের জমিতে আবদ্ধ করে তাদের সাথে সম্পর্ক তৈরি করেছিল। প্রারম্ভিক মুরোমাচি সময়কালে, শোগুনের কমান্ডের অধীনে এই পৃথক করদ রাজ্য শ্রেণিবিন্যাস শুগো শক্তির উপর একটি গুরুত্বপূর্ণ চেক ছিল। আমরা দেখব এই পূর্ববর্তী সেনাবাহিনী যোশিমিতসুর শোগুনাল সেনাবাহিনী থেকে কীভাবে আলাদা ছিল।
শোগুনাল সেনাবাহিনীর দুটি উপাদান ছিল: শোগুনাল দেহরক্ষী (শিনইগুন) আশিকাগা শাখা পরিবারের সদস্য, শুগো আত্মীয় এবং শুগো শাখার পরিবারের সদস্য, শাসক কর্মকর্তাদের অন্যান্য পুত্র ও ভাই এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণভাবে, শক্তিশালী কোকুজিন নিয়ে গঠিত। সংখ্যায় (বড়জোর সাড়ে তিনশো পুরুষ), এই দলটি একটি সুসংহত এবং অনুগত সংস্থা ছিল, যে কোনও মূল্যে শোগুনের ব্যক্তিকে রক্ষা করতে প্রস্তুত ছিল (আর্নেসেন ১৯৮৫: ১০২)। এই ছোট্ট ব্যান্ডের চারপাশে শোগুনের বেশ কয়েকটি প্রত্যক্ষ করদ রাজ্য ছিল যা ১৩৩৬ সালে এর উত্সটি সন্ধান করেছিল, যখন শোগুন তাকাউজি অনেক সামুরাইকে বাড়ির করদ রাজ্য হিসাবে ঘিরে ফেলেছিল যারা সম্ভবত রিজার্ভ সেনাবাহিনী হিসাবে ব্যবহৃত হয়েছিল (গে ১৯৮৬: ৯৫-৬); শোগুনাল দেহরক্ষীর সদস্যদের সাথে সংযুক্ত বৃহত্তর সংখ্যক পরোক্ষ করদ রাজ্য সম্ভবত যোশিমিতসুর অধীনে শোগুনাল সেনাবাহিনীর বেশিরভাগ অংশ তৈরি করেছিল। এই শেষ পয়েন্টটি আর্নেসেন দ্বারা ভালভাবে চিত্রিত হয়েছে, যিনি গণনা করেছিলেন যে শোগুনাল দেহরক্ষীতে সরাসরি করদ রাজ্যের সংখ্যা ষোড়শ শতাব্দীর শেষের দিকে হোজো বংশের অধীনে তালিকাভুক্ত প্রত্যক্ষ করদ রাজ্যের সংখ্যা ষাট থেকে সত্তর শতাংশ ছিল (১৯৮৫: ১২৬)। এবং যদি প্রয়াত হোজো ওডাওয়ারা অভিযানে পঞ্চাশ হাজার সৈন্য মাঠে নামাতে সক্ষম হত। তবে সাড়ে তিনশো শোগুনাল দেহরক্ষী সহজেই তাদের নিজস্ব করদ রাজ্যগুলোর একত্রিত করতে পারত যা গ্রসবার্গ দাবি করেছেন যে তিন হাজার সৈন্য নিয়ে এসেছিল যা গ্রসবার্গ দাবি করেছিলেন যে ১৩৯১ এর মেইটোকু রাইজিং (১৯৮১: ১০৭)। শোগুনাল দেহরক্ষীর সৃষ্টি এবং অন্যান্য শোগুনাল করদ রাজ্যগুলোর উপর এই গোষ্ঠীর কেন্দ্রীয় অবস্থানই যোশিমিতসুর শোগুনাল সেনাবাহিনীকে তাকাউজির শোগুনাল করদ রাজ্য থেকে পৃথক করে। নতুন শোগুনাল সেনাবাহিনীর সাথে একটি শক্ত সংগঠন এবং এসপ্রিট ডি কর্পস আবির্ভূত হয়েছিল।
=== শক্তিশালী শুগোকে পরাজিত করতে শুগো জোটের উসকো ===
তবে যুদ্ধের ময়দানে কানরেই শ্রেণির শুগো প্রভুদের সাথে দেখা করতে এবং পরাজিত করার জন্য একা শোগুনাল সেনাবাহিনী পর্যাপ্ত ছিল না। তবে যোশিমিতসু যে ধরণের যুদ্ধ অনুশীলন করেছিলেন তার জন্য পুরোপুরি উপযুক্ত ছিল: একজন শুগো প্রভুকে পরিবারের সদস্যের বিরুদ্ধে এবং অন্যান্য শুগো প্রভুদের বিরুদ্ধে দাঁড় করানো। পূর্ববর্তী শোগুনের অধীনে উত্থিত নতুন শোগুনাল আধিপত্য, যোশিয়াকিরা, যোশিমিতসুর রাজনীতিতে আধিপত্য বিস্তার করতে এসেছিল। শোগুনাল প্রতিপত্তি অনানুষ্ঠানিকভাবে নির্দেশ দিয়েছিল যে কোনও একক শুগো প্রভু শোগুনের ক্রোধের শিকার না হয়ে ক্ষমতার একটি নির্দিষ্ট স্তর অতিক্রম করবেন না। এটি শুগো প্রভুদের নিজেদের স্বার্থেই ছিল যে তাদের নিজস্ব সহকর্মীদের কেউই বাকিদের উপর খুব বেশি শক্তিশালী এবং প্রভাবশালী হয়ে উঠবে না (ভার্লি ১৯৬৭: ৬৩-৬৪)।
এই নীতি অনুসরণ করে ১৩৮৯ সালে যোশিমিতসু মিনো, আইসে এবং ওওয়ারি প্রদেশের শুগো প্রভু টোকি ইয়াসুয়ুকিকে পরবর্তী প্রদেশটি এক আত্মীয়ের কাছে ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। ইয়াসুয়ুকি প্রত্যাখ্যান করেছিলেন এবং যোশিমিতসু ইয়াসুয়ুকির চাচাতো ভাই ইয়োরিমাসুকে তাকে আক্রমণ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। তিন বছর পরে ইয়াসুয়ুকি পরাজিত হন এবং ১৩৯১ সালে মিনো প্রদেশটি টোকি ইয়োরিমাসুকে ছেড়ে দেন (পাপিনোট ১৯৭২: ৬৫৯)। ইয়োশিমিতসুর কাছে যে প্রদেশটি ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল তা মিনো বা ওওয়ারি ছিল কিনা তা বিবেচ্য ছিল না যতক্ষণ না টোকি ইয়াসুয়ুকি কেন্দ্রীয় প্রদেশগুলোতে তার কিছু ক্ষমতা ছিনিয়ে নিয়েছিল।
১৩৯১ সালে মেইতোকু রাইজিং (রান) এর আগে, ইয়ামানা পরিবারের পশ্চিম ও মধ্য জাপানের এগারোটি প্রদেশ ছিল। এটি তাদেরকে দেশের সবচেয়ে শক্তিশালী শুগো পরিবারে পরিণত করেছিল। যোশিমিতসু তাদের আক্রমণ করার জন্য একটি অজুহাত খুঁজছিলেন। যখন ইয়ামানা মিতসুয়ুকি (যিনি ইজুমো, তাম্বা, হোকি এবং ওকি প্রদেশগুলোর উপর শুগো ছিলেন) ইজুমোতে রাজকীয় পরিবারের কিছু সম্পত্তি দখল করেছিলেন, যোশিমিতসু মিতসুয়ুকির বিরুদ্ধে অভিযানের পরিকল্পনা করার জন্য প্রাক্তন-কানরেই হোসোকাওয়া ইয়োরিয়ুকিকে স্মরণ করেছিলেন (পাপিনোট ১৯৭২: ৭৪৪)। ইয়ামানা শুগো প্রভু মিতসুয়ুকি এবং উজিকিও কিয়োতো আক্রমণ করেছিলেন, কিন্তু ওউচি যোশিহিরোর বাহিনীর সাথে কনসার্টে শোগুনাল সেনাবাহিনীর কাছে মারাত্মকভাবে পরাজিত হয়েছিলেন (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ৩০,১০৭; গ্রসবার্গ ১৯৮১: ৩০,১০৭; গ্রসবার্গ ১৯৮১: ৩০,১০৭)। আর্নেসেন ১৯৭৯: ৮২)। শোগুনের বাহিনী গঠিত অন্যান্য শুগো দলগুলোর প্রত্যেকের সংখ্যা তিন শতাধিক ঘোড়সওয়ারের বেশি ছিল না (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ১০৭)। অভিযানের পর ইয়ামানাকে কেবল দুটি প্রদেশ বরাদ্দ করা হয়েছিল, তাজিমা এবং হকি, এবং বিদ্রোহের নেতাদের হত্যা করা হয়েছিল, যুদ্ধে উজিকিও এবং ১৩৯৫ সালে হত্যার মাধ্যমে মিতসুইউকি (পাপিনোট ১৯৭২: ৭৪৪)। ১৩৯৯ সালে এক শুগো প্রভুর বিরুদ্ধে আরেক শুগো লর্ডের এই দাঁড় তুঙ্গে ওঠে। হাস্যকরভাবে, এবার লক্ষ্যবস্তু ছিল ওউচি ইয়োশিহিরো, যিনি ইয়ামানার বিরুদ্ধে প্রচারণায় শাসকদের ভালভাবে সেবা করেছিলেন। যোশিহিরোকে ১৩৯৭ সালে শোনি আক্রমণ করার আদেশ দেওয়া হয়েছিল যা তিনি করেছিলেন, প্রক্রিয়াটিতে তার ভাইকে হারিয়েছিলেন। পরে তিনি যোশিমিতসুর বাইজেন্টাইন দ্বিচারিতা সম্পর্কে শিখেছিলেন: শোনিকেও ওচি আক্রমণ করার আদেশ দেওয়া হয়েছিল। এই দ্বিচারিতায় ক্ষুব্ধ হয়ে এবং শোগুন যখন তাকে কিয়োতোতে ডেকে পাঠায় তখন তার জীবনের ভয়ে তিনি অবাধ্য হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ৩২)। অবাক হওয়ার কিছু নেই যে, শাসকগোষ্ঠী তাকে শত্রু ঘোষণা করেছিল। এ সাকাইয়ের যুদ্ধ, যোশিমিতসু পাঁচটি শুগো প্রভুর বাহিনী, হোসোকাওয়া, আকামাতসু, কিয়োগোকু, শিবা এবং হাতাকিয়ামার বাহিনী সহ শহরে আগুন লাগিয়ে যোশিহিরোর প্রতিরক্ষামূলক কাজগুলোকে অভিভূত করেছিল (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ৩৩; গ্রসবার্গ ১৯৮১: ৩৩)। সানসোম ১৯৬১: ১৪৯)। যোশিমিতসুর নেতৃত্বে মিত্র বাহিনী ওচির ৫,০০০ যোদ্ধার বিপরীতে ৩০,০০০ যোদ্ধা ছিল: যোশিহিরো কেবল যুদ্ধে অভিভূত হয়েছিলেন যেখানে তিনি আত্মহত্যা করেছিলেন (আর্নেসেন ১৯৭৯: ৮২,৮৬)। এই পূর্ববর্তী প্রতিটি উদাহরণ যেমন ব্যাখ্যা করে, শোগুনাল আধিপত্য খুব কার্যকর হয়ে ওঠে। এটি শুগো প্রভুদের সহকর্মীদের আক্রমণ ও ধ্বংস করে বিভক্ত করার জন্য ব্যবহৃত হয়েছিল। শোগুনাল আধিপত্য শোগুনাল সেনাবাহিনীর সাথে তাদের বাহিনীকে একত্রিত করতে শুগো প্রভুদের সহযোগিতা ছাড়া সফল হত না। তবে শোগুনাল সেনাবাহিনী এবং শাসকগোষ্ঠীর অন্যান্য ব্যয় নির্বাহের জন্য অর্থ না থাকলে এই জবরদস্তিমূলক নীতি অকল্পনীয় ছিল।
=== রাজস্ব ===
চতুর্দশ এবং পঞ্চদশ শতাব্দীর শেষের দিকে কিয়োতো অর্থনৈতিক কার্যকলাপের জন্য একটি উজ্জ্বল কেন্দ্র ছিল। শোগুন যোশিমিতসুর অধীনে উদ্ভূত বাধ্যতামূলক আবাসিক নীতির ফলে শুগো প্রভুরা তাদের করদ রাজা ও চাকরদের সঙ্গে নিয়ে শহরের বিশিষ্ট জনগোষ্ঠীতে যুক্ত হয়েছিল। এইন বিশিষ্ট শ্রেণির মধ্যে অভিজাত, রাজ দরবারের সদস্য এবং মুরোমাচি সরকার অন্তর্ভুক্ত ছিল। এটি বিভিন্ন পণ্য ও পরিষেবাদির জন্য একটি বিশাল বাজারে পরিণত করে শহরের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়িয়ে তুলে। রাজধানীতে বসবাসকারী শোগুন এবং শুগো প্রভু উভয়ের জন্যই এই বৃদ্ধি গুরুত্বপূর্ণ ছিল: তারা ধারাবাহিকভাবে মহাজনদের সম্পদ (সাকায়া-দোসো) ব্যবহার করেছিল। শোগুন এমনকি তাদের শহরে কর আদায়কারী হিসাবে নিয়োগ করেছিল (কাওয়াই ১৯৭৭: ৭১; গ্রসবার্গ ১৯৮১: ৩৭,৭৮-৮০)। পূর্ববর্তী কামাকুরা শাসন থেকে মুরোমাচি শাসনকে এত আলাদা করে তুলেছিল তার আয়ের ভিত্তি। এর বেশিরভাগ রাজস্ব তার জমি বেস ছাড়াও বাণিজ্যিক কর থেকে এসেছিল।
প্রশাসন বোর্ড (ম্যান্ডোকোরো) মুরোমাচি শাসনের রাজস্ব সম্পর্কিত বিষয়গুলোর জন্য ক্লিয়ারিং হাউস হিসাবে ব্যবহৃত হত। এটি প্রধান আমলাতান্ত্রিক অঙ্গ ছিল যা করের উদ্দেশ্যে শহরের বিভিন্ন বাণিজ্যিক গোষ্ঠীর সাথে শাসনকে সংযুক্ত করেছিল। ১৩৯৩ সালে শাসন সরাসরি মহাজনদের উপর কর আরোপের অধিকারকে বৈধ করে (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ৭৮,৯৫-৬)। কিয়োতোতে মূল্যায়ন করা বাণিজ্যিক করগুলো নতুন নগর ভিত্তিক মুরোমাচি শাসনের ভিত্তি হয়ে ওঠে এবং সিদ্ধান্তমূলকভাবে শাসনব্যবস্থার প্রকৃতিকে কেবলমাত্র জমিদার সম্পত্তির উপর ভিত্তি করে একটি শাসনব্যবস্থায় পরিবর্তন করে আংশিকভাবে বাণিজ্য ভিত্তিক একটি শাসনব্যবস্থায় পরিণত করে।
ঐতিহ্যবাহী কৃষিভিত্তিক রাজস্ব তিনটি প্রধান উৎস থেকে আসত: শোগুনাল এস্টেট থেকে, শোগুনাল সামন্ত থেকে এবং শুগো প্রভুদের বিরুদ্ধে নির্ধারিত কর থেকে। আশিকাগা শোগুনদের অবতরণ ঘাঁটি তাদের উত্তরসূরিদের তুলনায় নগণ্য ছিল, টোকুগাওয়া; তবে কিয়োতো এবং কান্টো অঞ্চলের মধ্যে প্রায় দুই শতাধিক শোগুনাল এস্টেট (গরিওশো) ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল এবং এই এস্টেটগুলো থেকে উত্তোলিত রাজস্ব উল্লেখযোগ্য ছিল (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ৭০-৩)। তদুপরি, শোগুনাল এস্টেট এবং শোগুনাল সেনাবাহিনীর মধ্যে সংযোগ নির্ধারক ছিল: সেনাবাহিনীতে দায়িত্ব পালনকারী কিছু পুরুষ শোগুনের ব্যক্তিগত সম্পত্তির পরিচালকও ছিলেন (গ্রসবার্গ ১৯৮১: ১১২)। তদুপরি, অনেক স্থানীয় সামুরাই সরাসরি শাসনকে (কিয়োসাই) ভূমি কর প্রদান করেছিল যা তারা হাউস করদ রাজ্য (গোকেনিন) হিসাবে উপভোগ করেছিল, প্রক্রিয়াটিতে শুগো ট্যাক্স সংগ্রহকারীদের কাছ থেকে টিকা দেওয়া হয়েছিল (গ্রসবার্গ ১৯৮১; গ্রসবার্গ ১৯৮১)। উপরন্তু, শুগো প্রভুদের সরাসরি কর আদায় করা হয়েছিল (শুগো শুসেন) তারা কতগুলো প্রদেশ পরিচালনা করেছিল সে অনুসারে। যখনই কোনও বিল্ডিং তৈরি বা ঠিক করার জন্য ছিল এবং যখন শোগুনের বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য নগদ অর্থের প্রয়োজন হয়েছিল তখন শাসকরা এটি মূল্যায়ন করেছিল (কাওয়াই ১৯৭৭: ৭১; কাওয়াই ১৯৭৭: ৭১)। গ্রসবার্গ ১৯৮১: ৭৪)। কিয়োতো এবং ইয়ামাশিরো প্রদেশের উদীয়মান বাজার অর্থনীতির কারণে মুরোমাচি শাসনের রাজস্বের উত্সগুলো কামাকুরা শাসনের চেয়ে অনেক বেশি পরিমাণে বৈচিত্র্যময় ছিল। এটি মহাজনদের কাছ থেকে বাণিজ্যিক রাজস্ব আদায় হিসাবে অভিনব আকারে এসেছিল (সাকায়া দোসো): মুরোমাচি আমলাতন্ত্রের ক্ষমতা কাঠামো কার্যকরভাবে কিয়োতো শহরটি দখল করার পরে একটি কর মূল্যায়ন করা হয়েছিল।
== দক্ষিণ দরবারের সম্রাট ==
* সম্রাট গো-দাইগো「後醍醐天皇」(১২৮৮–১৩৩৯, রাজত্বকাল ১৩১৮–১৩৩৯)
* সম্রাট গো-মুরাকামি「後村上天皇」(১৩২৮–১৩৬৮, রাজত্বকাল ১৩৩৯–১৩৬৮))
* সম্রাট চোকেই「長慶天皇」((১৩৪৩–১৩৯৪, রাজত্বকাল ১৩৬৮-১৩৮৩)
* সম্রাট গো-কামেয়ামা「後亀山天皇」(১৩৪৭-১৪২৪, রাজত্বকাল ১৩৮৩-১৩৯২)
== উত্তর দরবারের সম্রাট ==
* উত্তর আশিকাগা দাবিদার ১: সম্রাট কোগন「光厳天皇」(১৩১৩–১৩৬৪, রাজত্বকাল ১৩৩১–১৩৩৩)
* উত্তর আশিকাগা দাবিদার ২: সম্রাট কোমিয়ো「光明天皇」(১৩২২–১৩৮০, রাজত্বকাল ১৩৩৬–১৩৪৮)
* উত্তর আশিকাগা দাবিদার ৩: সম্রাট সুকো「崇光天皇」(১৩৩৪–১৩৯৮, রাজত্বকাল ১৩৪৮–১৩৫১)
* অন্তর্বর্তীকাল, নভেম্বর ২৬, ১৩৫১ থেকে ২৫ সেপ্টেম্বর, ১৩৫২ পর্যন্ত
* উত্তর আশিকাগা দাবিদার ৪: সম্রাট গো-কোগন「後光厳天皇」(১৩৩৮–১৩৭৪, রাজত্বকাল ১৩৫২–১৩৭১)
* উত্তর আশিকাগা দাবিদার ৫: সম্রাট গো-এন'ইউ「後円融天皇」(১৩৫৯–১৩৯৩, রাজত্বকাল ১৩৭১–১৩৮২)
6be0vkngvq9kxzf1yvy4ft45042suix
দর্শনের সাথে পরিচয়/কর্তব্যবাদ
0
26676
84623
83602
2025-06-17T02:18:54Z
MdsShakil
7280
84623
wikitext
text/x-wiki
"কর্তব্যবাদ / Deontology" শব্দটি গ্রীক "deon" থেকে এসেছে যার অর্থ "কর্তব্য"। কর্তব্যবাদ এর দর্শন অনুসারে, কোনও কর্মের সঠিকতা বা ভুলতা নির্ধারিত হয় কর্ম দ্বারা, তার পরিণতি দ্বারা নয়।
ইমানুয়েল কান্ট হলেন সর্বাধিক পরিচিত কর্তব্যবাদী। তিনি দুই ধরণের বাধ্যবাধকতা (যার অর্থ আদেশ) আলাদা করেছেন: কাল্পনিক বাধ্যবাধকতা এবং নিঃশর্ত বাধ্যবাধকতা। কাল্পনিক বাধ্যবাধকতা হল এমন আদেশ যা একজনের ইচ্ছার উপর শর্তাধীন। উদাহরণস্বরূপ, যদি কেউ পরীক্ষায় সর্বোচ্চ নম্বর পেতে চায় তবে তাকে কঠোর অধ্যয়ন করতে হবে। এই উদাহরণে ব্যক্তিকে কেবল পরীক্ষায় সর্বোচ্চ নম্বর অর্জনের জন্য কঠোর অধ্যয়ন করতে হবে। যদি ব্যক্তির কোনও লক্ষ্য না থাকে, তবে কাল্পনিক আদেশ কাজ করে না। অন্যদিকে, নিঃশর্ত বাধ্যবাধকতা হল এমন আদেশ যা একজন ব্যক্তি লক্ষ্য নির্বিশেষে অনুসরণ করতে বাধ্য। এটি নিঃশর্ত এই অর্থে যে আমাদের ইচ্ছা নির্বিশেষে আমাদের এই আদেশ অনুসরণ করতে হয়।
কান্ট যুক্তি দেন যে নিঃশর্ত বাধ্যবাধকতা তিনটি ভিন্ন সূত্রে প্রকাশ করা যেতে পারে। শ্রেণীগত বাধ্যবাধকতার প্রথম সূত্রটি বলে: "কেবলমাত্র সেই নীতি অনুসারে কাজ করো যার মাধ্যমে তুমি একই সাথে এটিকে একটি সর্বজনীন আইনে পরিণত করতে পারো"। এর দ্বারা, কান্ট বোঝাতে চেয়েছিলেন যে নীতি (অর্থাৎ নিয়ম) সর্বজনীন হওয়া উচিত এই অর্থে যে এটি এমন একটি নিয়ম যা সমস্ত যুক্তিবাদী প্রাণীকে আবদ্ধ করতে পারে। কান্টের দ্বারা বর্ণিত দ্বিতীয় সূত্রটি হল: "এমনভাবে কাজ করো যাতে তুমি মানবতাকে, আপনার নিজের ব্যক্তিত্বে হোক বা অন্য কারও ব্যক্তিত্বে, কেবল একটি লক্ষ্যের উপায় হিসাবে নয়, বরং সর্বদা একই সাথে একটি লক্ষ্য হিসাবে বিবেচনা করো"। এর অর্থ হল আমাদের কখনই কেবল মানুষকে ব্যবহার করার অনুমতি নেই, মানুষকে অবশ্যই নিজের লক্ষ্য হিসাবে সম্মান করতে হবে। কান্ট তৃতীয় সূত্রটি ব্যাখ্যা করেছেন এভাবে, "একজন সদস্যের নীতি অনুসারে কাজ করুন যা কেবলমাত্র একটি সম্ভাব্য লক্ষ্যের রাজ্যের জন্য সর্বজনীন আইন প্রদান করে"। কান্ট বলেন যে, যখন কেউ নিঃশর্ত বাধ্যবাধকতা পূরণের দায়িত্ব পালন করে তখন সে নৈতিকভাবে কাজ করে।
জন রলস একজন কর্তব্যবাদী। তার বই ''ন্যায়ের একটি তত্ত্ব / a theory of justice'' প্রতিষ্ঠিত করে যে সম্পদ পুনর্বণ্টনের একটি ব্যবস্থা এমনভাবে তৈরি করা উচিত যাতে এটি একটি নির্দিষ্ট নৈতিক নিয়ম মেনে চলে।
কর্তব্যবাদ টেলিওলজিক্যাল তত্ত্বের বিরোধী যেখানে কোনও কর্মের ন্যায্যতা এবং ভুলতা কর্মের ফলাফলের ন্যায্যতা এবং দৃঢ়তার দ্বারা নির্ধারিত হয়।
== তথ্যসূত্র ==
* {{wikipedia|Deontology}}
{{BookCat}}
lsofu2agfeowhxcxrbeabgeqvuwglbw
আধুনিক বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস/বঙ্কিম-সমকালীন ঔপন্যাসিক গোষ্ঠী
0
27159
84408
2025-06-16T12:48:21Z
Jonoikobangali
676
"বাংলা উপন্যাসের প্রথম যথার্থ শিল্পী বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। তাঁর সমকালে এবং অব্যবহিত পরবর্তী যুগে তাঁরই পন্থা অনুসরণ করে অথবা স্বতন্ত্র পথে একদল প্রতিভাবান লেখক..." দিয়ে পাতা তৈরি
84408
wikitext
text/x-wiki
বাংলা উপন্যাসের প্রথম যথার্থ শিল্পী বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। তাঁর সমকালে এবং অব্যবহিত পরবর্তী যুগে তাঁরই পন্থা অনুসরণ করে অথবা স্বতন্ত্র পথে একদল প্রতিভাবান লেখক বাংলা উপন্যাসের সমৃদ্ধিসাধন করেছিলেন।
==রমেশচন্দ্র দত্ত==
ঔপন্যাসিক রমেশচন্দ্র দত্ত (১৮৪৮—১৯০৯) বঙ্কিমচন্দ্রের ন্যায় সমুচ্চ কল্পনাশক্তির অধিকারী না হলেও ঐতিহাসিক ও গার্হস্থ্য উপন্যাস রচনায় দক্ষতার পরিচয় দিয়েছিলেন। তাঁর লেখা ছটি উপন্যাসের মধ্যে প্রথম দুটি রোম্যান্সধর্মী। ''বঙ্গবিজেতা'' (১৮৭৪) উপন্যাসে তিনি টোডরমল্লের সমকালীন বাংলার ইতিহাসের প্রেক্ষিতে ইন্দ্রনাথ ও বিমলার রোম্যান্টিক প্রেমকাহিনির বিবরণ দিয়েছেন। কিন্তু ইতিহাস বা কল্পনা কোনওটাই এখানে সার্থক হয়নি। তাঁর ''মাধবীকঙ্কণ'' (১৮৭৭) উপন্যাসটিতে ইতিহাস নিছকই পটভূমি। শাহজাহানের অন্তিমকালে পুত্রদের কলহের রাজনৈতিক পটভূমির মধ্যে একটি রোম্যান্টিক প্রেমের গল্প গ্রথিত হয়েছে। টেনিসনের ''Enoch Arden'' আখ্যানকাব্যের অনুকরণে রমেশচন্দ্র প্রেম সমস্যায় নরেন্দ্র, হেমলতা ও শ্রীশের জীবনের শোকাবহ পরিণাম বিবৃত করেছেন। বিশুদ্ধ ঐতিহাসিক উপন্যাস হিসেবে তাঁর ''মহারাষ্ট্র জীবন-প্রভাত'' (১৮৭৮) ও ''রাজপুত জীবন-সন্ধ্যা'' (১৮৮৯) উল্লেখযোগ্য। প্রথমটিতে বর্ণিত হয়েছে শিবাজীর নেতৃত্বে মারাঠা জাতির উত্থানের কাহিনি এবং দ্বিতীয়টির উপজীব্য রাজপুত জাতির পতনের বিবরণ। স্বদেশপ্রেমের প্রেরণাতে তিনি উপন্যাস দুটিতে জাতির নিগূঢ় জীবনসত্যকে প্রকাশ করতে চেয়েছিলেন। ইতিহাসকে জীবনানুভূতিতে জীবন্ত করে তুলে তিনি বিশেষ দক্ষতার পরিচয়ও দিয়েছেন। বিধবাবিবাহ ও অর্থনৈতিক সমস্যাকে ভিত্তি করে রমেশচন্দ্র ''সংসারে'' (১৮৮৬) ও ''সমাজে'' (১৮৯৪) নামে দুটি সামাজিক উপন্যাস রচনা করেন। খুব শিল্পসম্মত রচনা না হলেও বিধবাবিবাহ ও অসবর্ণ বিবাহের সমর্থন করে তিনি সাহসী প্রগতিশীল মনোভাবের পরিচয় দেন এই দুই উপন্যাসে। তাছাড়া বাঙালির গার্হস্থ্য জীবনের প্রতিরূপ রচনায় তিনি বাস্তবিকতার পরিচয় দিয়ে যুগের নিরিখে প্রশংসার দাবি রেখেছেন।
q2y0soe4lrp6dfymw01i3ksybh7j69y
84410
84408
2025-06-16T12:51:37Z
Jonoikobangali
676
/* রমেশচন্দ্র দত্ত */
84410
wikitext
text/x-wiki
বাংলা উপন্যাসের প্রথম যথার্থ শিল্পী বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। তাঁর সমকালে এবং অব্যবহিত পরবর্তী যুগে তাঁরই পন্থা অনুসরণ করে অথবা স্বতন্ত্র পথে একদল প্রতিভাবান লেখক বাংলা উপন্যাসের সমৃদ্ধিসাধন করেছিলেন।
==রমেশচন্দ্র দত্ত==
ঔপন্যাসিক রমেশচন্দ্র দত্ত (১৮৪৮—১৯০৯) বঙ্কিমচন্দ্রের ন্যায় সমুচ্চ কল্পনাশক্তির অধিকারী না হলেও ঐতিহাসিক ও গার্হস্থ্য উপন্যাস রচনায় দক্ষতার পরিচয় দিয়েছিলেন। তাঁর লেখা ছটি উপন্যাসের মধ্যে প্রথম দুটি রোম্যান্সধর্মী। ''বঙ্গবিজেতা'' (১৮৭৪) উপন্যাসে তিনি টোডরমল্লের সমকালীন বাংলার ইতিহাসের প্রেক্ষিতে ইন্দ্রনাথ ও বিমলার রোম্যান্টিক প্রেমকাহিনির বিবরণ দিয়েছেন। কিন্তু ইতিহাস বা কল্পনা কোনওটাই এখানে সার্থক হয়নি। তাঁর ''মাধবীকঙ্কণ'' (১৮৭৭) উপন্যাসটিতে ইতিহাস নিছকই পটভূমি। শাহজাহানের অন্তিমকালে পুত্রদের কলহের রাজনৈতিক পটভূমির মধ্যে একটি রোম্যান্টিক প্রেমের গল্প গ্রথিত হয়েছে। টেনিসনের ''Enoch Arden'' আখ্যানকাব্যের অনুকরণে রমেশচন্দ্র প্রেম সমস্যায় নরেন্দ্র, হেমলতা ও শ্রীশের জীবনের শোকাবহ পরিণাম বিবৃত করেছেন। বিশুদ্ধ ঐতিহাসিক উপন্যাস হিসেবে তাঁর ''মহারাষ্ট্র জীবন-প্রভাত'' (১৮৭৮) ও ''রাজপুত জীবন-সন্ধ্যা'' (১৮৮৯) উল্লেখযোগ্য। প্রথমটিতে বর্ণিত হয়েছে শিবাজীর নেতৃত্বে মারাঠা জাতির উত্থানের কাহিনি এবং দ্বিতীয়টির উপজীব্য রাজপুত জাতির পতনের বিবরণ। স্বদেশপ্রেমের প্রেরণাতে তিনি উপন্যাস দুটিতে জাতির নিগূঢ় জীবনসত্যকে প্রকাশ করতে চেয়েছিলেন। ইতিহাসকে জীবনানুভূতিতে জীবন্ত করে তুলে তিনি বিশেষ দক্ষতার পরিচয়ও দিয়েছেন। বিধবাবিবাহ ও অর্থনৈতিক সমস্যাকে ভিত্তি করে রমেশচন্দ্র ''সংসারে'' (১৮৮৬) ও ''সমাজে'' (১৮৯৪) নামে দুটি সামাজিক উপন্যাস রচনা করেন। খুব শিল্পসম্মত রচনা না হলেও বিধবাবিবাহ ও অসবর্ণ বিবাহের সমর্থন করে তিনি সাহসী প্রগতিশীল মনোভাবের পরিচয় দেন এই দুই উপন্যাসে। তাছাড়া বাঙালির গার্হস্থ্য জীবনের প্রতিরূপ রচনায় তিনি বাস্তবিকতার পরিচয় দিয়ে যুগের নিরিখে প্রশংসার দাবি রেখেছেন।
==সঞ্জীবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়==
বঙ্কিমচন্দ্রের অগ্রজ সঞ্জীবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (১৮৩৪—১৮৮৯) উপন্যাস রচনায় মনোনিবেশ করেছিলেন। তাঁর ভ্রমণবৃত্তান্ত ''পালামৌ'' সম্বন্ধে রবীন্দ্রনাথ মন্তব্য করেছিলেন যে, সঞ্জীবচন্দ্রের প্রতিভায় গৃহিণীপনার অভাব। এই মন্তব্য তাঁর উপন্যাসের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। তাঁর ''মাধবীলতা'' (১৮৮৫) উপন্যাসে কাহিনির বন্ধন শিথিল এবং রূপকথার রহস্যে ঘেরা। এই উপন্যাসের কাহিনির পরবর্তী ঘটনা ''কণ্ঠমালা'' (১৮৭৭) উপন্যাসে বর্ণিত এবং শৈল চরিত্রে আতিশায্য ও অবাস্তবতার বড়ো বাড়াবাড়ি দেখা যায়। ''রামেশ্বরের অদৃষ্ট'' (১৮৭৭) উপন্যাসে গল্প-কৌতূহল চমৎকার; কিন্তু ঘটনার বিন্যাস ও চরিত্রের সংহতি রচনায় তিনি দক্ষতার পরিচয় দেননি। সঞ্জীবচন্দ্রের ঐতিহাসিক উপন্যাস ''জাল প্রতাপচাঁদ'' (১৮৮৩) বর্ধমান রাজবাড়ির ঘটনা অবলম্বনে রচিত চমৎকার কাহিনি। ইতিহাস-নিষ্ঠায় ও কাহিনি-গ্রন্থনের কৌশলে তিনি দক্ষতা দেখিয়েছেন এতে।
dsdjvkp69dqssx3fa6tvi832izuc0n4
84412
84410
2025-06-16T12:55:59Z
Jonoikobangali
676
/* সঞ্জীবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় */
84412
wikitext
text/x-wiki
বাংলা উপন্যাসের প্রথম যথার্থ শিল্পী বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। তাঁর সমকালে এবং অব্যবহিত পরবর্তী যুগে তাঁরই পন্থা অনুসরণ করে অথবা স্বতন্ত্র পথে একদল প্রতিভাবান লেখক বাংলা উপন্যাসের সমৃদ্ধিসাধন করেছিলেন।
==রমেশচন্দ্র দত্ত==
ঔপন্যাসিক রমেশচন্দ্র দত্ত (১৮৪৮—১৯০৯) বঙ্কিমচন্দ্রের ন্যায় সমুচ্চ কল্পনাশক্তির অধিকারী না হলেও ঐতিহাসিক ও গার্হস্থ্য উপন্যাস রচনায় দক্ষতার পরিচয় দিয়েছিলেন। তাঁর লেখা ছটি উপন্যাসের মধ্যে প্রথম দুটি রোম্যান্সধর্মী। ''বঙ্গবিজেতা'' (১৮৭৪) উপন্যাসে তিনি টোডরমল্লের সমকালীন বাংলার ইতিহাসের প্রেক্ষিতে ইন্দ্রনাথ ও বিমলার রোম্যান্টিক প্রেমকাহিনির বিবরণ দিয়েছেন। কিন্তু ইতিহাস বা কল্পনা কোনওটাই এখানে সার্থক হয়নি। তাঁর ''মাধবীকঙ্কণ'' (১৮৭৭) উপন্যাসটিতে ইতিহাস নিছকই পটভূমি। শাহজাহানের অন্তিমকালে পুত্রদের কলহের রাজনৈতিক পটভূমির মধ্যে একটি রোম্যান্টিক প্রেমের গল্প গ্রথিত হয়েছে। টেনিসনের ''Enoch Arden'' আখ্যানকাব্যের অনুকরণে রমেশচন্দ্র প্রেম সমস্যায় নরেন্দ্র, হেমলতা ও শ্রীশের জীবনের শোকাবহ পরিণাম বিবৃত করেছেন। বিশুদ্ধ ঐতিহাসিক উপন্যাস হিসেবে তাঁর ''মহারাষ্ট্র জীবন-প্রভাত'' (১৮৭৮) ও ''রাজপুত জীবন-সন্ধ্যা'' (১৮৮৯) উল্লেখযোগ্য। প্রথমটিতে বর্ণিত হয়েছে শিবাজীর নেতৃত্বে মারাঠা জাতির উত্থানের কাহিনি এবং দ্বিতীয়টির উপজীব্য রাজপুত জাতির পতনের বিবরণ। স্বদেশপ্রেমের প্রেরণাতে তিনি উপন্যাস দুটিতে জাতির নিগূঢ় জীবনসত্যকে প্রকাশ করতে চেয়েছিলেন। ইতিহাসকে জীবনানুভূতিতে জীবন্ত করে তুলে তিনি বিশেষ দক্ষতার পরিচয়ও দিয়েছেন। বিধবাবিবাহ ও অর্থনৈতিক সমস্যাকে ভিত্তি করে রমেশচন্দ্র ''সংসারে'' (১৮৮৬) ও ''সমাজে'' (১৮৯৪) নামে দুটি সামাজিক উপন্যাস রচনা করেন। খুব শিল্পসম্মত রচনা না হলেও বিধবাবিবাহ ও অসবর্ণ বিবাহের সমর্থন করে তিনি সাহসী প্রগতিশীল মনোভাবের পরিচয় দেন এই দুই উপন্যাসে। তাছাড়া বাঙালির গার্হস্থ্য জীবনের প্রতিরূপ রচনায় তিনি বাস্তবিকতার পরিচয় দিয়ে যুগের নিরিখে প্রশংসার দাবি রেখেছেন।
==সঞ্জীবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়==
বঙ্কিমচন্দ্রের অগ্রজ সঞ্জীবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (১৮৩৪—১৮৮৯) উপন্যাস রচনায় মনোনিবেশ করেছিলেন। তাঁর ভ্রমণবৃত্তান্ত ''পালামৌ'' সম্বন্ধে রবীন্দ্রনাথ মন্তব্য করেছিলেন যে, সঞ্জীবচন্দ্রের প্রতিভায় গৃহিণীপনার অভাব। এই মন্তব্য তাঁর উপন্যাসের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। তাঁর ''মাধবীলতা'' (১৮৮৫) উপন্যাসে কাহিনির বন্ধন শিথিল এবং রূপকথার রহস্যে ঘেরা। এই উপন্যাসের কাহিনির পরবর্তী ঘটনা ''কণ্ঠমালা'' (১৮৭৭) উপন্যাসে বর্ণিত এবং শৈল চরিত্রে আতিশায্য ও অবাস্তবতার বড়ো বাড়াবাড়ি দেখা যায়। ''রামেশ্বরের অদৃষ্ট'' (১৮৭৭) উপন্যাসে গল্প-কৌতূহল চমৎকার; কিন্তু ঘটনার বিন্যাস ও চরিত্রের সংহতি রচনায় তিনি দক্ষতার পরিচয় দেননি। সঞ্জীবচন্দ্রের ঐতিহাসিক উপন্যাস ''জাল প্রতাপচাঁদ'' (১৮৮৩) বর্ধমান রাজবাড়ির ঘটনা অবলম্বনে রচিত চমৎকার কাহিনি। ইতিহাস-নিষ্ঠায় ও কাহিনি-গ্রন্থনের কৌশলে তিনি দক্ষতা দেখিয়েছেন এতে।
==তারকনাথ গঙ্গোপাধ্যায়==
বঙ্কিমযুগে গার্হস্থ্য উপন্যাস রচনায় বিস্ময়কর জনপ্রিয়তা অর্জন করেন তারকনাথ গঙ্গোপাধ্যায় (১৮৪৩—১৮৯১)। পেশায় চিকিৎসক এবং সাহিত্যক্ষেত্রে বঙ্কিমচন্দ্রের প্রভাবমুক্ত এই সাহিত্যিক বাংলা গ্রাম্যজীবন, যৌথ-পরিবারে ভ্রাতৃবিরোধ অবলম্বনে বাস্তবধর্মী উপন্যাস রচনায় প্রবৃত্ত হন। ''স্বর্ণলতা'' (১৮৭৪) তাঁর প্রথম ও সর্বপ্রধান কীর্তি। রোম্যান্সের পথ পরিহার করে বাঙালির প্রকৃত সংসারচিত্র যথাযথভাবে প্রকাশ করে তিনি প্রভূত জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। ''স্বর্ণলতা''-র নাট্যরূপ ''সরলা''-র অভিনয়ও বিশেষ জনপ্রিয় হয়। একটি একান্নবর্তী পরিবারে জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা শশিভূষণ উপার্জনকারী এবং কনিষ্ঠ ভ্রাতা বিধুভূষণ গানবাজনা নিয়ে ব্যস্ত। বড়ো বউয়ের নিষ্ঠুরতায় সংসারটি ছারখার হয়ে গেল। এই করুণ কাহিনিই উপন্যাসের বিষয়। প্রসঙ্গক্রমে নীলকমল চরিত্রের সাহায্যে সমাজের ও ব্যক্তিমানুষের নিপুণ আলেখ্য রচনা করা হয়েছে এই উপন্যাসে। তবু মনে হয় যে, তারকনাথের মধ্যে বস্তুভেদী শিল্প-প্রতিভা ছিল না, বাচ্যান্তরের অভিব্যঞ্জনা দিতে তিনি ব্যর্থ। তিনি ফোটোগ্রাফারের মতো জীবনের অসংসক্ত ছবি ধরেছেন, জীবন দর্শন করেননি বা করাননি। তাঁর অন্যান্য উপন্যাসগুলিতে বিষয়বৈচিত্র্য ও জীবনদর্শনের বিশিষ্টতার অভাবে তা কালের গর্ভে হারিয়ে যায়। ''ললিত ও সৌদামিনী'' (১৮৮২), ''হরিষে বিষাদ'' (১৮৮৭), ''তিনটি গল্প'' (১৮৮৯), ''বিধিলিপি'' (১৮৯১), ''অদৃষ্ট'' (১৮৯২) প্রভৃতি তাঁর অন্যান্য উপন্যাস। কিন্তু ''স্বর্ণলতা''-র খ্যাতি তাঁর অন্যান্য রচনাগুলিকে একেবারেই আচ্ছন্ন করে রেখেছে।
4n5kfudtub78ifgi9ud2049rbm68z0f
84414
84412
2025-06-16T12:57:46Z
Jonoikobangali
676
/* তারকনাথ গঙ্গোপাধ্যায় */
84414
wikitext
text/x-wiki
বাংলা উপন্যাসের প্রথম যথার্থ শিল্পী বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। তাঁর সমকালে এবং অব্যবহিত পরবর্তী যুগে তাঁরই পন্থা অনুসরণ করে অথবা স্বতন্ত্র পথে একদল প্রতিভাবান লেখক বাংলা উপন্যাসের সমৃদ্ধিসাধন করেছিলেন।
==রমেশচন্দ্র দত্ত==
ঔপন্যাসিক রমেশচন্দ্র দত্ত (১৮৪৮—১৯০৯) বঙ্কিমচন্দ্রের ন্যায় সমুচ্চ কল্পনাশক্তির অধিকারী না হলেও ঐতিহাসিক ও গার্হস্থ্য উপন্যাস রচনায় দক্ষতার পরিচয় দিয়েছিলেন। তাঁর লেখা ছটি উপন্যাসের মধ্যে প্রথম দুটি রোম্যান্সধর্মী। ''বঙ্গবিজেতা'' (১৮৭৪) উপন্যাসে তিনি টোডরমল্লের সমকালীন বাংলার ইতিহাসের প্রেক্ষিতে ইন্দ্রনাথ ও বিমলার রোম্যান্টিক প্রেমকাহিনির বিবরণ দিয়েছেন। কিন্তু ইতিহাস বা কল্পনা কোনওটাই এখানে সার্থক হয়নি। তাঁর ''মাধবীকঙ্কণ'' (১৮৭৭) উপন্যাসটিতে ইতিহাস নিছকই পটভূমি। শাহজাহানের অন্তিমকালে পুত্রদের কলহের রাজনৈতিক পটভূমির মধ্যে একটি রোম্যান্টিক প্রেমের গল্প গ্রথিত হয়েছে। টেনিসনের ''Enoch Arden'' আখ্যানকাব্যের অনুকরণে রমেশচন্দ্র প্রেম সমস্যায় নরেন্দ্র, হেমলতা ও শ্রীশের জীবনের শোকাবহ পরিণাম বিবৃত করেছেন। বিশুদ্ধ ঐতিহাসিক উপন্যাস হিসেবে তাঁর ''মহারাষ্ট্র জীবন-প্রভাত'' (১৮৭৮) ও ''রাজপুত জীবন-সন্ধ্যা'' (১৮৮৯) উল্লেখযোগ্য। প্রথমটিতে বর্ণিত হয়েছে শিবাজীর নেতৃত্বে মারাঠা জাতির উত্থানের কাহিনি এবং দ্বিতীয়টির উপজীব্য রাজপুত জাতির পতনের বিবরণ। স্বদেশপ্রেমের প্রেরণাতে তিনি উপন্যাস দুটিতে জাতির নিগূঢ় জীবনসত্যকে প্রকাশ করতে চেয়েছিলেন। ইতিহাসকে জীবনানুভূতিতে জীবন্ত করে তুলে তিনি বিশেষ দক্ষতার পরিচয়ও দিয়েছেন। বিধবাবিবাহ ও অর্থনৈতিক সমস্যাকে ভিত্তি করে রমেশচন্দ্র ''সংসারে'' (১৮৮৬) ও ''সমাজে'' (১৮৯৪) নামে দুটি সামাজিক উপন্যাস রচনা করেন। খুব শিল্পসম্মত রচনা না হলেও বিধবাবিবাহ ও অসবর্ণ বিবাহের সমর্থন করে তিনি সাহসী প্রগতিশীল মনোভাবের পরিচয় দেন এই দুই উপন্যাসে। তাছাড়া বাঙালির গার্হস্থ্য জীবনের প্রতিরূপ রচনায় তিনি বাস্তবিকতার পরিচয় দিয়ে যুগের নিরিখে প্রশংসার দাবি রেখেছেন।
==সঞ্জীবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়==
বঙ্কিমচন্দ্রের অগ্রজ সঞ্জীবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (১৮৩৪—১৮৮৯) উপন্যাস রচনায় মনোনিবেশ করেছিলেন। তাঁর ভ্রমণবৃত্তান্ত ''পালামৌ'' সম্বন্ধে রবীন্দ্রনাথ মন্তব্য করেছিলেন যে, সঞ্জীবচন্দ্রের প্রতিভায় গৃহিণীপনার অভাব। এই মন্তব্য তাঁর উপন্যাসের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। তাঁর ''মাধবীলতা'' (১৮৮৫) উপন্যাসে কাহিনির বন্ধন শিথিল এবং রূপকথার রহস্যে ঘেরা। এই উপন্যাসের কাহিনির পরবর্তী ঘটনা ''কণ্ঠমালা'' (১৮৭৭) উপন্যাসে বর্ণিত এবং শৈল চরিত্রে আতিশায্য ও অবাস্তবতার বড়ো বাড়াবাড়ি দেখা যায়। ''রামেশ্বরের অদৃষ্ট'' (১৮৭৭) উপন্যাসে গল্প-কৌতূহল চমৎকার; কিন্তু ঘটনার বিন্যাস ও চরিত্রের সংহতি রচনায় তিনি দক্ষতার পরিচয় দেননি। সঞ্জীবচন্দ্রের ঐতিহাসিক উপন্যাস ''জাল প্রতাপচাঁদ'' (১৮৮৩) বর্ধমান রাজবাড়ির ঘটনা অবলম্বনে রচিত চমৎকার কাহিনি। ইতিহাস-নিষ্ঠায় ও কাহিনি-গ্রন্থনের কৌশলে তিনি দক্ষতা দেখিয়েছেন এতে।
==তারকনাথ গঙ্গোপাধ্যায়==
বঙ্কিমযুগে গার্হস্থ্য উপন্যাস রচনায় বিস্ময়কর জনপ্রিয়তা অর্জন করেন তারকনাথ গঙ্গোপাধ্যায় (১৮৪৩—১৮৯১)। পেশায় চিকিৎসক এবং সাহিত্যক্ষেত্রে বঙ্কিমচন্দ্রের প্রভাবমুক্ত এই সাহিত্যিক বাংলা গ্রাম্যজীবন, যৌথ-পরিবারে ভ্রাতৃবিরোধ অবলম্বনে বাস্তবধর্মী উপন্যাস রচনায় প্রবৃত্ত হন। ''স্বর্ণলতা'' (১৮৭৪) তাঁর প্রথম ও সর্বপ্রধান কীর্তি। রোম্যান্সের পথ পরিহার করে বাঙালির প্রকৃত সংসারচিত্র যথাযথভাবে প্রকাশ করে তিনি প্রভূত জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। ''স্বর্ণলতা''-র নাট্যরূপ ''সরলা''-র অভিনয়ও বিশেষ জনপ্রিয় হয়। একটি একান্নবর্তী পরিবারে জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা শশিভূষণ উপার্জনকারী এবং কনিষ্ঠ ভ্রাতা বিধুভূষণ গানবাজনা নিয়ে ব্যস্ত। বড়ো বউয়ের নিষ্ঠুরতায় সংসারটি ছারখার হয়ে গেল। এই করুণ কাহিনিই উপন্যাসের বিষয়। প্রসঙ্গক্রমে নীলকমল চরিত্রের সাহায্যে সমাজের ও ব্যক্তিমানুষের নিপুণ আলেখ্য রচনা করা হয়েছে এই উপন্যাসে। তবু মনে হয় যে, তারকনাথের মধ্যে বস্তুভেদী শিল্প-প্রতিভা ছিল না, বাচ্যান্তরের অভিব্যঞ্জনা দিতে তিনি ব্যর্থ। তিনি ফোটোগ্রাফারের মতো জীবনের অসংসক্ত ছবি ধরেছেন, জীবন দর্শন করেননি বা করাননি। তাঁর অন্যান্য উপন্যাসগুলিতে বিষয়বৈচিত্র্য ও জীবনদর্শনের বিশিষ্টতার অভাবে তা কালের গর্ভে হারিয়ে যায়। ''ললিত ও সৌদামিনী'' (১৮৮২), ''হরিষে বিষাদ'' (১৮৮৭), ''তিনটি গল্প'' (১৮৮৯), ''বিধিলিপি'' (১৮৯১), ''অদৃষ্ট'' (১৮৯২) প্রভৃতি তাঁর অন্যান্য উপন্যাস। কিন্তু ''স্বর্ণলতা''-র খ্যাতি তাঁর অন্যান্য রচনাগুলিকে একেবারেই আচ্ছন্ন করে রেখেছে।
==প্রতাপচন্দ্র ঘোষ==
বঙ্কিমচন্দ্র-প্রবর্তিত ধারাকে অনুসরণ না করে ঐতিহাসিক উপন্যাস লেখার চেষ্টা করেন প্রতাপচন্দ্র ঘোষ (১৮৩৯—১৯২০)। তাঁর ''বঙ্গাধিপ-পরাজয়'' (প্রথম খণ্ড ১৮৬৯, দ্বিতীয় খণ্ড ১৮৮৪) উপন্যাসের বিষয়বস্তু যশোহরের রাজা প্রতাপাদিত্যের মুঘল-বিরোধিতা ও পরাজয়ের কাহিনি। তিনি বর্ণনায় ইতিহাসের আনুগত্য রক্ষা করতে গিয়ে ঘটনাগত ঐক্য ও চরিত্রগত সংগতি রক্ষা করতে পারেননি। সমগ্র রচনাটিও নীরস বিবৃতিতে পরিণত হয়েছে। তিনি ইতিহাসে পণ্ডিত ছিলেন; কিন্তু তাঁর মানসিকতায় শিল্পগুণের অভাব ছিল।
nypg9mw71590p7r9imb4q0vf4xfv2mf
84415
84414
2025-06-16T12:59:26Z
Jonoikobangali
676
/* প্রতাপচন্দ্র ঘোষ */
84415
wikitext
text/x-wiki
বাংলা উপন্যাসের প্রথম যথার্থ শিল্পী বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। তাঁর সমকালে এবং অব্যবহিত পরবর্তী যুগে তাঁরই পন্থা অনুসরণ করে অথবা স্বতন্ত্র পথে একদল প্রতিভাবান লেখক বাংলা উপন্যাসের সমৃদ্ধিসাধন করেছিলেন।
==রমেশচন্দ্র দত্ত==
ঔপন্যাসিক রমেশচন্দ্র দত্ত (১৮৪৮—১৯০৯) বঙ্কিমচন্দ্রের ন্যায় সমুচ্চ কল্পনাশক্তির অধিকারী না হলেও ঐতিহাসিক ও গার্হস্থ্য উপন্যাস রচনায় দক্ষতার পরিচয় দিয়েছিলেন। তাঁর লেখা ছটি উপন্যাসের মধ্যে প্রথম দুটি রোম্যান্সধর্মী। ''বঙ্গবিজেতা'' (১৮৭৪) উপন্যাসে তিনি টোডরমল্লের সমকালীন বাংলার ইতিহাসের প্রেক্ষিতে ইন্দ্রনাথ ও বিমলার রোম্যান্টিক প্রেমকাহিনির বিবরণ দিয়েছেন। কিন্তু ইতিহাস বা কল্পনা কোনওটাই এখানে সার্থক হয়নি। তাঁর ''মাধবীকঙ্কণ'' (১৮৭৭) উপন্যাসটিতে ইতিহাস নিছকই পটভূমি। শাহজাহানের অন্তিমকালে পুত্রদের কলহের রাজনৈতিক পটভূমির মধ্যে একটি রোম্যান্টিক প্রেমের গল্প গ্রথিত হয়েছে। টেনিসনের ''Enoch Arden'' আখ্যানকাব্যের অনুকরণে রমেশচন্দ্র প্রেম সমস্যায় নরেন্দ্র, হেমলতা ও শ্রীশের জীবনের শোকাবহ পরিণাম বিবৃত করেছেন। বিশুদ্ধ ঐতিহাসিক উপন্যাস হিসেবে তাঁর ''মহারাষ্ট্র জীবন-প্রভাত'' (১৮৭৮) ও ''রাজপুত জীবন-সন্ধ্যা'' (১৮৮৯) উল্লেখযোগ্য। প্রথমটিতে বর্ণিত হয়েছে শিবাজীর নেতৃত্বে মারাঠা জাতির উত্থানের কাহিনি এবং দ্বিতীয়টির উপজীব্য রাজপুত জাতির পতনের বিবরণ। স্বদেশপ্রেমের প্রেরণাতে তিনি উপন্যাস দুটিতে জাতির নিগূঢ় জীবনসত্যকে প্রকাশ করতে চেয়েছিলেন। ইতিহাসকে জীবনানুভূতিতে জীবন্ত করে তুলে তিনি বিশেষ দক্ষতার পরিচয়ও দিয়েছেন। বিধবাবিবাহ ও অর্থনৈতিক সমস্যাকে ভিত্তি করে রমেশচন্দ্র ''সংসারে'' (১৮৮৬) ও ''সমাজে'' (১৮৯৪) নামে দুটি সামাজিক উপন্যাস রচনা করেন। খুব শিল্পসম্মত রচনা না হলেও বিধবাবিবাহ ও অসবর্ণ বিবাহের সমর্থন করে তিনি সাহসী প্রগতিশীল মনোভাবের পরিচয় দেন এই দুই উপন্যাসে। তাছাড়া বাঙালির গার্হস্থ্য জীবনের প্রতিরূপ রচনায় তিনি বাস্তবিকতার পরিচয় দিয়ে যুগের নিরিখে প্রশংসার দাবি রেখেছেন।
==সঞ্জীবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়==
বঙ্কিমচন্দ্রের অগ্রজ সঞ্জীবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (১৮৩৪—১৮৮৯) উপন্যাস রচনায় মনোনিবেশ করেছিলেন। তাঁর ভ্রমণবৃত্তান্ত ''পালামৌ'' সম্বন্ধে রবীন্দ্রনাথ মন্তব্য করেছিলেন যে, সঞ্জীবচন্দ্রের প্রতিভায় গৃহিণীপনার অভাব। এই মন্তব্য তাঁর উপন্যাসের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। তাঁর ''মাধবীলতা'' (১৮৮৫) উপন্যাসে কাহিনির বন্ধন শিথিল এবং রূপকথার রহস্যে ঘেরা। এই উপন্যাসের কাহিনির পরবর্তী ঘটনা ''কণ্ঠমালা'' (১৮৭৭) উপন্যাসে বর্ণিত এবং শৈল চরিত্রে আতিশায্য ও অবাস্তবতার বড়ো বাড়াবাড়ি দেখা যায়। ''রামেশ্বরের অদৃষ্ট'' (১৮৭৭) উপন্যাসে গল্প-কৌতূহল চমৎকার; কিন্তু ঘটনার বিন্যাস ও চরিত্রের সংহতি রচনায় তিনি দক্ষতার পরিচয় দেননি। সঞ্জীবচন্দ্রের ঐতিহাসিক উপন্যাস ''জাল প্রতাপচাঁদ'' (১৮৮৩) বর্ধমান রাজবাড়ির ঘটনা অবলম্বনে রচিত চমৎকার কাহিনি। ইতিহাস-নিষ্ঠায় ও কাহিনি-গ্রন্থনের কৌশলে তিনি দক্ষতা দেখিয়েছেন এতে।
==তারকনাথ গঙ্গোপাধ্যায়==
বঙ্কিমযুগে গার্হস্থ্য উপন্যাস রচনায় বিস্ময়কর জনপ্রিয়তা অর্জন করেন তারকনাথ গঙ্গোপাধ্যায় (১৮৪৩—১৮৯১)। পেশায় চিকিৎসক এবং সাহিত্যক্ষেত্রে বঙ্কিমচন্দ্রের প্রভাবমুক্ত এই সাহিত্যিক বাংলা গ্রাম্যজীবন, যৌথ-পরিবারে ভ্রাতৃবিরোধ অবলম্বনে বাস্তবধর্মী উপন্যাস রচনায় প্রবৃত্ত হন। ''স্বর্ণলতা'' (১৮৭৪) তাঁর প্রথম ও সর্বপ্রধান কীর্তি। রোম্যান্সের পথ পরিহার করে বাঙালির প্রকৃত সংসারচিত্র যথাযথভাবে প্রকাশ করে তিনি প্রভূত জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। ''স্বর্ণলতা''-র নাট্যরূপ ''সরলা''-র অভিনয়ও বিশেষ জনপ্রিয় হয়। একটি একান্নবর্তী পরিবারে জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা শশিভূষণ উপার্জনকারী এবং কনিষ্ঠ ভ্রাতা বিধুভূষণ গানবাজনা নিয়ে ব্যস্ত। বড়ো বউয়ের নিষ্ঠুরতায় সংসারটি ছারখার হয়ে গেল। এই করুণ কাহিনিই উপন্যাসের বিষয়। প্রসঙ্গক্রমে নীলকমল চরিত্রের সাহায্যে সমাজের ও ব্যক্তিমানুষের নিপুণ আলেখ্য রচনা করা হয়েছে এই উপন্যাসে। তবু মনে হয় যে, তারকনাথের মধ্যে বস্তুভেদী শিল্প-প্রতিভা ছিল না, বাচ্যান্তরের অভিব্যঞ্জনা দিতে তিনি ব্যর্থ। তিনি ফোটোগ্রাফারের মতো জীবনের অসংসক্ত ছবি ধরেছেন, জীবন দর্শন করেননি বা করাননি। তাঁর অন্যান্য উপন্যাসগুলিতে বিষয়বৈচিত্র্য ও জীবনদর্শনের বিশিষ্টতার অভাবে তা কালের গর্ভে হারিয়ে যায়। ''ললিত ও সৌদামিনী'' (১৮৮২), ''হরিষে বিষাদ'' (১৮৮৭), ''তিনটি গল্প'' (১৮৮৯), ''বিধিলিপি'' (১৮৯১), ''অদৃষ্ট'' (১৮৯২) প্রভৃতি তাঁর অন্যান্য উপন্যাস। কিন্তু ''স্বর্ণলতা''-র খ্যাতি তাঁর অন্যান্য রচনাগুলিকে একেবারেই আচ্ছন্ন করে রেখেছে।
==প্রতাপচন্দ্র ঘোষ==
বঙ্কিমচন্দ্র-প্রবর্তিত ধারাকে অনুসরণ না করে ঐতিহাসিক উপন্যাস লেখার চেষ্টা করেন প্রতাপচন্দ্র ঘোষ (১৮৩৯—১৯২০)। তাঁর ''বঙ্গাধিপ-পরাজয়'' (প্রথম খণ্ড ১৮৬৯, দ্বিতীয় খণ্ড ১৮৮৪) উপন্যাসের বিষয়বস্তু যশোহরের রাজা প্রতাপাদিত্যের মুঘল-বিরোধিতা ও পরাজয়ের কাহিনি। তিনি বর্ণনায় ইতিহাসের আনুগত্য রক্ষা করতে গিয়ে ঘটনাগত ঐক্য ও চরিত্রগত সংগতি রক্ষা করতে পারেননি। সমগ্র রচনাটিও নীরস বিবৃতিতে পরিণত হয়েছে। তিনি ইতিহাসে পণ্ডিত ছিলেন; কিন্তু তাঁর মানসিকতায় শিল্পগুণের অভাব ছিল।
==স্বর্ণকুমারী দেবী==
রবীন্দ্রনাথের দিদি স্বর্ণকুমারী দেবী (১৮৫৫—১৯৩২) উপন্যাস রচনায় বিশেষ কৃতিত্বের পরিচয় দেন। সাহিত্যের প্রায় সকল বিভাগেই তিনি সাবলীল সৌন্দর্যের পরিচয় দিয়েছেন। ঐতিহাসিক রোম্যান্স ও সামাজিক উপন্যাস রচনা করে তিনি বাংলা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করেন। পৃথ্বীরাজ ও সংযুক্তার কাহিনি অবলম্বনে লিখিত ''দীপনির্বাণ'' (১৮৭৬) উপন্যাসটিতে তিনি কল্পনাশক্তি ও স্বদেশপ্রেমের সুন্দর পরিচয় দিয়েছেন। ''মিবার রাজ'' (১৮৭৭), ''বিদ্রোহ'' (১৮৯০), ''ফুলের মালা (১৮৯৪) প্রভৃতি তাঁর ইতিহাসাশ্রিত উপন্যাস। গার্হস্থ্য জীবন অবলম্বনে লেখা তাঁর উপন্যাসগুলিও কম আকর্ষণীয় হয়নি। উগ্র প্রগতিবাদ নারীসমাজে প্রবেশ করলে দাম্পত্যজীবনের শান্তি ও শৃঙ্খলা কীভাবে বিপর্যস্ত হয় তা দেখিয়েছেন ''স্নেহলতা'' (১৮৯২-৯৩) উপন্যাসে। ''ছিন্ন মুকুল'' (১৮৭৯), ''মালতী'' (১৮৮১) প্রভৃতি উপন্যাসে রোম্যান্সরসের প্রাধান্য থাকলেও সমসাময়িক সমাজজীবনের জীবন্ত চিত্র এতে প্রতিবিম্বিত। উনিশ শতকের শেষভাগে তাঁর মতো বিদূষী নারী-সাহিত্যিক বাংলায় আর জন্মগ্রহণ করেননি।
0251l7x5zd5qz2jr50l7vr3hcgir1am
84416
84415
2025-06-16T13:02:56Z
Jonoikobangali
676
/* স্বর্ণকুমারী দেবী */
84416
wikitext
text/x-wiki
বাংলা উপন্যাসের প্রথম যথার্থ শিল্পী বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। তাঁর সমকালে এবং অব্যবহিত পরবর্তী যুগে তাঁরই পন্থা অনুসরণ করে অথবা স্বতন্ত্র পথে একদল প্রতিভাবান লেখক বাংলা উপন্যাসের সমৃদ্ধিসাধন করেছিলেন।
==রমেশচন্দ্র দত্ত==
ঔপন্যাসিক রমেশচন্দ্র দত্ত (১৮৪৮—১৯০৯) বঙ্কিমচন্দ্রের ন্যায় সমুচ্চ কল্পনাশক্তির অধিকারী না হলেও ঐতিহাসিক ও গার্হস্থ্য উপন্যাস রচনায় দক্ষতার পরিচয় দিয়েছিলেন। তাঁর লেখা ছটি উপন্যাসের মধ্যে প্রথম দুটি রোম্যান্সধর্মী। ''বঙ্গবিজেতা'' (১৮৭৪) উপন্যাসে তিনি টোডরমল্লের সমকালীন বাংলার ইতিহাসের প্রেক্ষিতে ইন্দ্রনাথ ও বিমলার রোম্যান্টিক প্রেমকাহিনির বিবরণ দিয়েছেন। কিন্তু ইতিহাস বা কল্পনা কোনওটাই এখানে সার্থক হয়নি। তাঁর ''মাধবীকঙ্কণ'' (১৮৭৭) উপন্যাসটিতে ইতিহাস নিছকই পটভূমি। শাহজাহানের অন্তিমকালে পুত্রদের কলহের রাজনৈতিক পটভূমির মধ্যে একটি রোম্যান্টিক প্রেমের গল্প গ্রথিত হয়েছে। টেনিসনের ''Enoch Arden'' আখ্যানকাব্যের অনুকরণে রমেশচন্দ্র প্রেম সমস্যায় নরেন্দ্র, হেমলতা ও শ্রীশের জীবনের শোকাবহ পরিণাম বিবৃত করেছেন। বিশুদ্ধ ঐতিহাসিক উপন্যাস হিসেবে তাঁর ''মহারাষ্ট্র জীবন-প্রভাত'' (১৮৭৮) ও ''রাজপুত জীবন-সন্ধ্যা'' (১৮৮৯) উল্লেখযোগ্য। প্রথমটিতে বর্ণিত হয়েছে শিবাজীর নেতৃত্বে মারাঠা জাতির উত্থানের কাহিনি এবং দ্বিতীয়টির উপজীব্য রাজপুত জাতির পতনের বিবরণ। স্বদেশপ্রেমের প্রেরণাতে তিনি উপন্যাস দুটিতে জাতির নিগূঢ় জীবনসত্যকে প্রকাশ করতে চেয়েছিলেন। ইতিহাসকে জীবনানুভূতিতে জীবন্ত করে তুলে তিনি বিশেষ দক্ষতার পরিচয়ও দিয়েছেন। বিধবাবিবাহ ও অর্থনৈতিক সমস্যাকে ভিত্তি করে রমেশচন্দ্র ''সংসারে'' (১৮৮৬) ও ''সমাজে'' (১৮৯৪) নামে দুটি সামাজিক উপন্যাস রচনা করেন। খুব শিল্পসম্মত রচনা না হলেও বিধবাবিবাহ ও অসবর্ণ বিবাহের সমর্থন করে তিনি সাহসী প্রগতিশীল মনোভাবের পরিচয় দেন এই দুই উপন্যাসে। তাছাড়া বাঙালির গার্হস্থ্য জীবনের প্রতিরূপ রচনায় তিনি বাস্তবিকতার পরিচয় দিয়ে যুগের নিরিখে প্রশংসার দাবি রেখেছেন।
==সঞ্জীবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়==
বঙ্কিমচন্দ্রের অগ্রজ সঞ্জীবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (১৮৩৪—১৮৮৯) উপন্যাস রচনায় মনোনিবেশ করেছিলেন। তাঁর ভ্রমণবৃত্তান্ত ''পালামৌ'' সম্বন্ধে রবীন্দ্রনাথ মন্তব্য করেছিলেন যে, সঞ্জীবচন্দ্রের প্রতিভায় গৃহিণীপনার অভাব। এই মন্তব্য তাঁর উপন্যাসের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। তাঁর ''মাধবীলতা'' (১৮৮৫) উপন্যাসে কাহিনির বন্ধন শিথিল এবং রূপকথার রহস্যে ঘেরা। এই উপন্যাসের কাহিনির পরবর্তী ঘটনা ''কণ্ঠমালা'' (১৮৭৭) উপন্যাসে বর্ণিত এবং শৈল চরিত্রে আতিশায্য ও অবাস্তবতার বড়ো বাড়াবাড়ি দেখা যায়। ''রামেশ্বরের অদৃষ্ট'' (১৮৭৭) উপন্যাসে গল্প-কৌতূহল চমৎকার; কিন্তু ঘটনার বিন্যাস ও চরিত্রের সংহতি রচনায় তিনি দক্ষতার পরিচয় দেননি। সঞ্জীবচন্দ্রের ঐতিহাসিক উপন্যাস ''জাল প্রতাপচাঁদ'' (১৮৮৩) বর্ধমান রাজবাড়ির ঘটনা অবলম্বনে রচিত চমৎকার কাহিনি। ইতিহাস-নিষ্ঠায় ও কাহিনি-গ্রন্থনের কৌশলে তিনি দক্ষতা দেখিয়েছেন এতে।
==তারকনাথ গঙ্গোপাধ্যায়==
বঙ্কিমযুগে গার্হস্থ্য উপন্যাস রচনায় বিস্ময়কর জনপ্রিয়তা অর্জন করেন তারকনাথ গঙ্গোপাধ্যায় (১৮৪৩—১৮৯১)। পেশায় চিকিৎসক এবং সাহিত্যক্ষেত্রে বঙ্কিমচন্দ্রের প্রভাবমুক্ত এই সাহিত্যিক বাংলা গ্রাম্যজীবন, যৌথ-পরিবারে ভ্রাতৃবিরোধ অবলম্বনে বাস্তবধর্মী উপন্যাস রচনায় প্রবৃত্ত হন। ''স্বর্ণলতা'' (১৮৭৪) তাঁর প্রথম ও সর্বপ্রধান কীর্তি। রোম্যান্সের পথ পরিহার করে বাঙালির প্রকৃত সংসারচিত্র যথাযথভাবে প্রকাশ করে তিনি প্রভূত জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। ''স্বর্ণলতা''-র নাট্যরূপ ''সরলা''-র অভিনয়ও বিশেষ জনপ্রিয় হয়। একটি একান্নবর্তী পরিবারে জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা শশিভূষণ উপার্জনকারী এবং কনিষ্ঠ ভ্রাতা বিধুভূষণ গানবাজনা নিয়ে ব্যস্ত। বড়ো বউয়ের নিষ্ঠুরতায় সংসারটি ছারখার হয়ে গেল। এই করুণ কাহিনিই উপন্যাসের বিষয়। প্রসঙ্গক্রমে নীলকমল চরিত্রের সাহায্যে সমাজের ও ব্যক্তিমানুষের নিপুণ আলেখ্য রচনা করা হয়েছে এই উপন্যাসে। তবু মনে হয় যে, তারকনাথের মধ্যে বস্তুভেদী শিল্প-প্রতিভা ছিল না, বাচ্যান্তরের অভিব্যঞ্জনা দিতে তিনি ব্যর্থ। তিনি ফোটোগ্রাফারের মতো জীবনের অসংসক্ত ছবি ধরেছেন, জীবন দর্শন করেননি বা করাননি। তাঁর অন্যান্য উপন্যাসগুলিতে বিষয়বৈচিত্র্য ও জীবনদর্শনের বিশিষ্টতার অভাবে তা কালের গর্ভে হারিয়ে যায়। ''ললিত ও সৌদামিনী'' (১৮৮২), ''হরিষে বিষাদ'' (১৮৮৭), ''তিনটি গল্প'' (১৮৮৯), ''বিধিলিপি'' (১৮৯১), ''অদৃষ্ট'' (১৮৯২) প্রভৃতি তাঁর অন্যান্য উপন্যাস। কিন্তু ''স্বর্ণলতা''-র খ্যাতি তাঁর অন্যান্য রচনাগুলিকে একেবারেই আচ্ছন্ন করে রেখেছে।
==প্রতাপচন্দ্র ঘোষ==
বঙ্কিমচন্দ্র-প্রবর্তিত ধারাকে অনুসরণ না করে ঐতিহাসিক উপন্যাস লেখার চেষ্টা করেন প্রতাপচন্দ্র ঘোষ (১৮৩৯—১৯২০)। তাঁর ''বঙ্গাধিপ-পরাজয়'' (প্রথম খণ্ড ১৮৬৯, দ্বিতীয় খণ্ড ১৮৮৪) উপন্যাসের বিষয়বস্তু যশোহরের রাজা প্রতাপাদিত্যের মুঘল-বিরোধিতা ও পরাজয়ের কাহিনি। তিনি বর্ণনায় ইতিহাসের আনুগত্য রক্ষা করতে গিয়ে ঘটনাগত ঐক্য ও চরিত্রগত সংগতি রক্ষা করতে পারেননি। সমগ্র রচনাটিও নীরস বিবৃতিতে পরিণত হয়েছে। তিনি ইতিহাসে পণ্ডিত ছিলেন; কিন্তু তাঁর মানসিকতায় শিল্পগুণের অভাব ছিল।
==স্বর্ণকুমারী দেবী==
রবীন্দ্রনাথের দিদি স্বর্ণকুমারী দেবী (১৮৫৫—১৯৩২) উপন্যাস রচনায় বিশেষ কৃতিত্বের পরিচয় দেন। সাহিত্যের প্রায় সকল বিভাগেই তিনি সাবলীল সৌন্দর্যের পরিচয় দিয়েছেন। ঐতিহাসিক রোম্যান্স ও সামাজিক উপন্যাস রচনা করে তিনি বাংলা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করেন। পৃথ্বীরাজ ও সংযুক্তার কাহিনি অবলম্বনে লিখিত ''দীপনির্বাণ'' (১৮৭৬) উপন্যাসটিতে তিনি কল্পনাশক্তি ও স্বদেশপ্রেমের সুন্দর পরিচয় দিয়েছেন। ''মিবার রাজ'' (১৮৭৭), ''বিদ্রোহ'' (১৮৯০), ''ফুলের মালা (১৮৯৪) প্রভৃতি তাঁর ইতিহাসাশ্রিত উপন্যাস। গার্হস্থ্য জীবন অবলম্বনে লেখা তাঁর উপন্যাসগুলিও কম আকর্ষণীয় হয়নি। উগ্র প্রগতিবাদ নারীসমাজে প্রবেশ করলে দাম্পত্যজীবনের শান্তি ও শৃঙ্খলা কীভাবে বিপর্যস্ত হয় তা দেখিয়েছেন ''স্নেহলতা'' (১৮৯২-৯৩) উপন্যাসে। ''ছিন্ন মুকুল'' (১৮৭৯), ''মালতী'' (১৮৮১) প্রভৃতি উপন্যাসে রোম্যান্সরসের প্রাধান্য থাকলেও সমসাময়িক সমাজজীবনের জীবন্ত চিত্র এতে প্রতিবিম্বিত। উনিশ শতকের শেষভাগে তাঁর মতো বিদূষী নারী-সাহিত্যিক বাংলায় আর জন্মগ্রহণ করেননি।
==বঙ্কিমযুগের অন্যান্য ঔপন্যাসিক==
বঙ্কিমযুগের অন্যান্য ঔপন্যাসিকদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য দামোদর মুখোপাধ্যায় (১৮৫৩—১৯০৭), ইন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় (১৮৪৯—১৯১১), যোগেন্দ্রচন্দ্র বসু (১৮৫৪—১৯০৫), ত্রৈলোক্যনাথ মুখোপাধ্যায় (১৮৪৭—১৯১৯), শিবনাথ শাস্ত্রী (১৮৪৮—১৯১৯), শ্রীশচন্দ্র মজুমদার (১৮৬০—১৯০৮) প্রমুখ। বঙ্কিমচন্দ্রের আত্মীয় দামোদর মুখোপাধ্যায় বঙ্কিমচন্দ্রের পরিত্যক্তা লেখনী ধারণ করে বাহাদুরি প্রদর্শনের জন্য ''দুর্গেশনন্দিনী''-র পরিশিষ্ট ''নবাবনন্দিনী'' এবং ''কপালকুণ্ডলা''-র পরিশিষ্ট ''মৃন্ময়ী'' রচনা করেন। ডিটেকটিভ কৌতূহলের গল্প লিখতে ভালোবাসতেন তিনি। ''বিমলা'', ''মা ও মেয়ে'', ''দুই ভগিনী'', ''জয়চাঁদের চিঠি'', ''কর্মক্ষেত্র'', ''সোনার ফসল'', ''যোগেশ্বরী'', ''অন্নপূর্ণা'', ''সপত্নী'', ''নবীনা'' প্রভৃতি অনেকগুলি গল্প তিনি রচনা করেন। স্যার ওয়াল্টার স্কটের ''ব্রাইড অফ ল্যামার মুর'' উপন্যাস অবলম্বনে ''কমলকুমারী'' এবং উইকলি কলিসের ''ওম্যান ইন হোয়াইট'' অবলম্বনে ''শুক্লবসনা সুন্দরী'' নামে উপন্যাস লিখেছিলেন তিনি। কিন্তু সাহিত্যে তাঁর কীর্তি স্থায়ী হয়নি। ইন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় ও যোগেন্দ্রচন্দ্র বসু ব্যঙ্গাত্মক উপন্যাস লেখায় হাত দেন। তাঁরা সমাজ সংস্কারের প্রেরণায় হিন্দুধর্মের পক্ষে এবং ব্রাহ্মধর্ম ও খ্রিস্টানদের অনুকরণের বিরোধিতায় আক্রমণাত্মক গল্প রচনা করতেন। ইন্দ্রনাথের ''কল্পতরু'' এবং যোগেন্দ্রচন্দ্রের ''মডেল ভগিনী'', ''চিনিবাস চরিতামৃত'', ''কালাচাঁদ'', ''শ্রীশ্রীরাজলক্ষ্মী'' প্রভৃতি উপন্যাস সমাজে বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। ত্রৈলোক্যনাথ মুখোপাধ্যায় ''কঙ্কাবতী'', ''ডমরু-চরিত'', ''ফোক্লা দিগম্বর'' প্রভৃতি গ্রন্থে নির্মল কৌতুকরস সৃষ্টি করে গল্প রচনায় কৃতিত্ব দেখান। পারিবারিক জীবনের বহু সমস্যা অবলম্বনে আদর্শবাদী উপন্যাস রচনা করেন শিবনাথ শাস্ত্রী। তাঁর ''মেজবৌ'', ''যুগান্তর'' ও ''নয়নতারা'' উল্লেখযোগ্য রচনা। শ্রীশচন্দ্র মজুমদার ''শক্তিকানন'', ''ফুলজানি'', ''কৃতজ্ঞতা'' প্রভৃতি উপন্যাসে বাংলার গ্রামজীবনের ছবি চমৎকার ফুটিয়েছেন। রবীন্দ্রনাথ ''ফুলজানি'' উপন্যাসের বিশেষ প্রশংসা করেন।
{{বইয়ের বিষয়শ্রেণী}}
mydgp2flc8fk4wy2nup4ibvb8377sca
84418
84416
2025-06-16T13:04:55Z
Jonoikobangali
676
/* স্বর্ণকুমারী দেবী */
84418
wikitext
text/x-wiki
বাংলা উপন্যাসের প্রথম যথার্থ শিল্পী বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। তাঁর সমকালে এবং অব্যবহিত পরবর্তী যুগে তাঁরই পন্থা অনুসরণ করে অথবা স্বতন্ত্র পথে একদল প্রতিভাবান লেখক বাংলা উপন্যাসের সমৃদ্ধিসাধন করেছিলেন।
==রমেশচন্দ্র দত্ত==
ঔপন্যাসিক রমেশচন্দ্র দত্ত (১৮৪৮—১৯০৯) বঙ্কিমচন্দ্রের ন্যায় সমুচ্চ কল্পনাশক্তির অধিকারী না হলেও ঐতিহাসিক ও গার্হস্থ্য উপন্যাস রচনায় দক্ষতার পরিচয় দিয়েছিলেন। তাঁর লেখা ছটি উপন্যাসের মধ্যে প্রথম দুটি রোম্যান্সধর্মী। ''বঙ্গবিজেতা'' (১৮৭৪) উপন্যাসে তিনি টোডরমল্লের সমকালীন বাংলার ইতিহাসের প্রেক্ষিতে ইন্দ্রনাথ ও বিমলার রোম্যান্টিক প্রেমকাহিনির বিবরণ দিয়েছেন। কিন্তু ইতিহাস বা কল্পনা কোনওটাই এখানে সার্থক হয়নি। তাঁর ''মাধবীকঙ্কণ'' (১৮৭৭) উপন্যাসটিতে ইতিহাস নিছকই পটভূমি। শাহজাহানের অন্তিমকালে পুত্রদের কলহের রাজনৈতিক পটভূমির মধ্যে একটি রোম্যান্টিক প্রেমের গল্প গ্রথিত হয়েছে। টেনিসনের ''Enoch Arden'' আখ্যানকাব্যের অনুকরণে রমেশচন্দ্র প্রেম সমস্যায় নরেন্দ্র, হেমলতা ও শ্রীশের জীবনের শোকাবহ পরিণাম বিবৃত করেছেন। বিশুদ্ধ ঐতিহাসিক উপন্যাস হিসেবে তাঁর ''মহারাষ্ট্র জীবন-প্রভাত'' (১৮৭৮) ও ''রাজপুত জীবন-সন্ধ্যা'' (১৮৮৯) উল্লেখযোগ্য। প্রথমটিতে বর্ণিত হয়েছে শিবাজীর নেতৃত্বে মারাঠা জাতির উত্থানের কাহিনি এবং দ্বিতীয়টির উপজীব্য রাজপুত জাতির পতনের বিবরণ। স্বদেশপ্রেমের প্রেরণাতে তিনি উপন্যাস দুটিতে জাতির নিগূঢ় জীবনসত্যকে প্রকাশ করতে চেয়েছিলেন। ইতিহাসকে জীবনানুভূতিতে জীবন্ত করে তুলে তিনি বিশেষ দক্ষতার পরিচয়ও দিয়েছেন। বিধবাবিবাহ ও অর্থনৈতিক সমস্যাকে ভিত্তি করে রমেশচন্দ্র ''সংসারে'' (১৮৮৬) ও ''সমাজে'' (১৮৯৪) নামে দুটি সামাজিক উপন্যাস রচনা করেন। খুব শিল্পসম্মত রচনা না হলেও বিধবাবিবাহ ও অসবর্ণ বিবাহের সমর্থন করে তিনি সাহসী প্রগতিশীল মনোভাবের পরিচয় দেন এই দুই উপন্যাসে। তাছাড়া বাঙালির গার্হস্থ্য জীবনের প্রতিরূপ রচনায় তিনি বাস্তবিকতার পরিচয় দিয়ে যুগের নিরিখে প্রশংসার দাবি রেখেছেন।
==সঞ্জীবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়==
বঙ্কিমচন্দ্রের অগ্রজ সঞ্জীবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (১৮৩৪—১৮৮৯) উপন্যাস রচনায় মনোনিবেশ করেছিলেন। তাঁর ভ্রমণবৃত্তান্ত ''পালামৌ'' সম্বন্ধে রবীন্দ্রনাথ মন্তব্য করেছিলেন যে, সঞ্জীবচন্দ্রের প্রতিভায় গৃহিণীপনার অভাব। এই মন্তব্য তাঁর উপন্যাসের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। তাঁর ''মাধবীলতা'' (১৮৮৫) উপন্যাসে কাহিনির বন্ধন শিথিল এবং রূপকথার রহস্যে ঘেরা। এই উপন্যাসের কাহিনির পরবর্তী ঘটনা ''কণ্ঠমালা'' (১৮৭৭) উপন্যাসে বর্ণিত এবং শৈল চরিত্রে আতিশায্য ও অবাস্তবতার বড়ো বাড়াবাড়ি দেখা যায়। ''রামেশ্বরের অদৃষ্ট'' (১৮৭৭) উপন্যাসে গল্প-কৌতূহল চমৎকার; কিন্তু ঘটনার বিন্যাস ও চরিত্রের সংহতি রচনায় তিনি দক্ষতার পরিচয় দেননি। সঞ্জীবচন্দ্রের ঐতিহাসিক উপন্যাস ''জাল প্রতাপচাঁদ'' (১৮৮৩) বর্ধমান রাজবাড়ির ঘটনা অবলম্বনে রচিত চমৎকার কাহিনি। ইতিহাস-নিষ্ঠায় ও কাহিনি-গ্রন্থনের কৌশলে তিনি দক্ষতা দেখিয়েছেন এতে।
==তারকনাথ গঙ্গোপাধ্যায়==
বঙ্কিমযুগে গার্হস্থ্য উপন্যাস রচনায় বিস্ময়কর জনপ্রিয়তা অর্জন করেন তারকনাথ গঙ্গোপাধ্যায় (১৮৪৩—১৮৯১)। পেশায় চিকিৎসক এবং সাহিত্যক্ষেত্রে বঙ্কিমচন্দ্রের প্রভাবমুক্ত এই সাহিত্যিক বাংলা গ্রাম্যজীবন, যৌথ-পরিবারে ভ্রাতৃবিরোধ অবলম্বনে বাস্তবধর্মী উপন্যাস রচনায় প্রবৃত্ত হন। ''স্বর্ণলতা'' (১৮৭৪) তাঁর প্রথম ও সর্বপ্রধান কীর্তি। রোম্যান্সের পথ পরিহার করে বাঙালির প্রকৃত সংসারচিত্র যথাযথভাবে প্রকাশ করে তিনি প্রভূত জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। ''স্বর্ণলতা''-র নাট্যরূপ ''সরলা''-র অভিনয়ও বিশেষ জনপ্রিয় হয়। একটি একান্নবর্তী পরিবারে জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা শশিভূষণ উপার্জনকারী এবং কনিষ্ঠ ভ্রাতা বিধুভূষণ গানবাজনা নিয়ে ব্যস্ত। বড়ো বউয়ের নিষ্ঠুরতায় সংসারটি ছারখার হয়ে গেল। এই করুণ কাহিনিই উপন্যাসের বিষয়। প্রসঙ্গক্রমে নীলকমল চরিত্রের সাহায্যে সমাজের ও ব্যক্তিমানুষের নিপুণ আলেখ্য রচনা করা হয়েছে এই উপন্যাসে। তবু মনে হয় যে, তারকনাথের মধ্যে বস্তুভেদী শিল্প-প্রতিভা ছিল না, বাচ্যান্তরের অভিব্যঞ্জনা দিতে তিনি ব্যর্থ। তিনি ফোটোগ্রাফারের মতো জীবনের অসংসক্ত ছবি ধরেছেন, জীবন দর্শন করেননি বা করাননি। তাঁর অন্যান্য উপন্যাসগুলিতে বিষয়বৈচিত্র্য ও জীবনদর্শনের বিশিষ্টতার অভাবে তা কালের গর্ভে হারিয়ে যায়। ''ললিত ও সৌদামিনী'' (১৮৮২), ''হরিষে বিষাদ'' (১৮৮৭), ''তিনটি গল্প'' (১৮৮৯), ''বিধিলিপি'' (১৮৯১), ''অদৃষ্ট'' (১৮৯২) প্রভৃতি তাঁর অন্যান্য উপন্যাস। কিন্তু ''স্বর্ণলতা''-র খ্যাতি তাঁর অন্যান্য রচনাগুলিকে একেবারেই আচ্ছন্ন করে রেখেছে।
==প্রতাপচন্দ্র ঘোষ==
বঙ্কিমচন্দ্র-প্রবর্তিত ধারাকে অনুসরণ না করে ঐতিহাসিক উপন্যাস লেখার চেষ্টা করেন প্রতাপচন্দ্র ঘোষ (১৮৩৯—১৯২০)। তাঁর ''বঙ্গাধিপ-পরাজয়'' (প্রথম খণ্ড ১৮৬৯, দ্বিতীয় খণ্ড ১৮৮৪) উপন্যাসের বিষয়বস্তু যশোহরের রাজা প্রতাপাদিত্যের মুঘল-বিরোধিতা ও পরাজয়ের কাহিনি। তিনি বর্ণনায় ইতিহাসের আনুগত্য রক্ষা করতে গিয়ে ঘটনাগত ঐক্য ও চরিত্রগত সংগতি রক্ষা করতে পারেননি। সমগ্র রচনাটিও নীরস বিবৃতিতে পরিণত হয়েছে। তিনি ইতিহাসে পণ্ডিত ছিলেন; কিন্তু তাঁর মানসিকতায় শিল্পগুণের অভাব ছিল।
==স্বর্ণকুমারী দেবী==
রবীন্দ্রনাথের দিদি স্বর্ণকুমারী দেবী (১৮৫৫—১৯৩২) উপন্যাস রচনায় বিশেষ কৃতিত্বের পরিচয় দেন। সাহিত্যের প্রায় সকল বিভাগেই তিনি সাবলীল সৌন্দর্যের পরিচয় দিয়েছেন। ঐতিহাসিক রোম্যান্স ও সামাজিক উপন্যাস রচনা করে তিনি বাংলা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করেন। পৃথ্বীরাজ ও সংযুক্তার কাহিনি অবলম্বনে লিখিত ''দীপনির্বাণ'' (১৮৭৬) উপন্যাসটিতে তিনি কল্পনাশক্তি ও স্বদেশপ্রেমের সুন্দর পরিচয় দিয়েছেন। ''মিবার রাজ'' (১৮৭৭), ''বিদ্রোহ'' (১৮৯০), ''ফুলের মালা'' (১৮৯৪) প্রভৃতি তাঁর ইতিহাসাশ্রিত উপন্যাস। গার্হস্থ্য জীবন অবলম্বনে লেখা তাঁর উপন্যাসগুলিও কম আকর্ষণীয় হয়নি। উগ্র প্রগতিবাদ নারীসমাজে প্রবেশ করলে দাম্পত্যজীবনের শান্তি ও শৃঙ্খলা কীভাবে বিপর্যস্ত হয় তা দেখিয়েছেন ''স্নেহলতা'' (১৮৯২-৯৩) উপন্যাসে। ''ছিন্ন মুকুল'' (১৮৭৯), ''মালতী'' (১৮৮১) প্রভৃতি উপন্যাসে রোম্যান্সরসের প্রাধান্য থাকলেও সমসাময়িক সমাজজীবনের জীবন্ত চিত্র এতে প্রতিবিম্বিত। উনিশ শতকের শেষভাগে তাঁর মতো বিদূষী নারী-সাহিত্যিক বাংলায় আর জন্মগ্রহণ করেননি।
==বঙ্কিমযুগের অন্যান্য ঔপন্যাসিক==
বঙ্কিমযুগের অন্যান্য ঔপন্যাসিকদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য দামোদর মুখোপাধ্যায় (১৮৫৩—১৯০৭), ইন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় (১৮৪৯—১৯১১), যোগেন্দ্রচন্দ্র বসু (১৮৫৪—১৯০৫), ত্রৈলোক্যনাথ মুখোপাধ্যায় (১৮৪৭—১৯১৯), শিবনাথ শাস্ত্রী (১৮৪৮—১৯১৯), শ্রীশচন্দ্র মজুমদার (১৮৬০—১৯০৮) প্রমুখ। বঙ্কিমচন্দ্রের আত্মীয় দামোদর মুখোপাধ্যায় বঙ্কিমচন্দ্রের পরিত্যক্তা লেখনী ধারণ করে বাহাদুরি প্রদর্শনের জন্য ''দুর্গেশনন্দিনী''-র পরিশিষ্ট ''নবাবনন্দিনী'' এবং ''কপালকুণ্ডলা''-র পরিশিষ্ট ''মৃন্ময়ী'' রচনা করেন। ডিটেকটিভ কৌতূহলের গল্প লিখতে ভালোবাসতেন তিনি। ''বিমলা'', ''মা ও মেয়ে'', ''দুই ভগিনী'', ''জয়চাঁদের চিঠি'', ''কর্মক্ষেত্র'', ''সোনার ফসল'', ''যোগেশ্বরী'', ''অন্নপূর্ণা'', ''সপত্নী'', ''নবীনা'' প্রভৃতি অনেকগুলি গল্প তিনি রচনা করেন। স্যার ওয়াল্টার স্কটের ''ব্রাইড অফ ল্যামার মুর'' উপন্যাস অবলম্বনে ''কমলকুমারী'' এবং উইকলি কলিসের ''ওম্যান ইন হোয়াইট'' অবলম্বনে ''শুক্লবসনা সুন্দরী'' নামে উপন্যাস লিখেছিলেন তিনি। কিন্তু সাহিত্যে তাঁর কীর্তি স্থায়ী হয়নি। ইন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় ও যোগেন্দ্রচন্দ্র বসু ব্যঙ্গাত্মক উপন্যাস লেখায় হাত দেন। তাঁরা সমাজ সংস্কারের প্রেরণায় হিন্দুধর্মের পক্ষে এবং ব্রাহ্মধর্ম ও খ্রিস্টানদের অনুকরণের বিরোধিতায় আক্রমণাত্মক গল্প রচনা করতেন। ইন্দ্রনাথের ''কল্পতরু'' এবং যোগেন্দ্রচন্দ্রের ''মডেল ভগিনী'', ''চিনিবাস চরিতামৃত'', ''কালাচাঁদ'', ''শ্রীশ্রীরাজলক্ষ্মী'' প্রভৃতি উপন্যাস সমাজে বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। ত্রৈলোক্যনাথ মুখোপাধ্যায় ''কঙ্কাবতী'', ''ডমরু-চরিত'', ''ফোক্লা দিগম্বর'' প্রভৃতি গ্রন্থে নির্মল কৌতুকরস সৃষ্টি করে গল্প রচনায় কৃতিত্ব দেখান। পারিবারিক জীবনের বহু সমস্যা অবলম্বনে আদর্শবাদী উপন্যাস রচনা করেন শিবনাথ শাস্ত্রী। তাঁর ''মেজবৌ'', ''যুগান্তর'' ও ''নয়নতারা'' উল্লেখযোগ্য রচনা। শ্রীশচন্দ্র মজুমদার ''শক্তিকানন'', ''ফুলজানি'', ''কৃতজ্ঞতা'' প্রভৃতি উপন্যাসে বাংলার গ্রামজীবনের ছবি চমৎকার ফুটিয়েছেন। রবীন্দ্রনাথ ''ফুলজানি'' উপন্যাসের বিশেষ প্রশংসা করেন।
{{বইয়ের বিষয়শ্রেণী}}
sy749fm9ts4cuyz1kb5t4yenho9vr71
ব্যবহারকারী আলাপ:BohemianRhapsody
3
27160
84420
2025-06-16T15:40:07Z
KanikBot
8129
স্বাগতম!
84420
wikitext
text/x-wiki
== বাংলা উইকিবইয়ে স্বাগত ==
{{স্বাগত/২য় সংস্করণ}} ১৫:৪০, ১৬ জুন ২০২৫ (ইউটিসি)
o62c6pfgn828x7tpogg55au1ctsv3xl
আধুনিক বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস/আধুনিক বাংলা নাটকের উদ্ভব
0
27161
84428
2025-06-16T17:49:39Z
Jonoikobangali
676
"পূর্ববাহিনী গঙ্গা ও পশ্চিমবাহিনী নর্মদার যুক্তবেণী যদি সম্ভবপর হত, তবে তা আধুনিক বাংলা নাটকের উৎপত্তির একটি সুন্দর উপমা হতে পারত। বস্তুত আধুনিক নাটকের বহিরঙ্গে পাশ্চাত..." দিয়ে পাতা তৈরি
84428
wikitext
text/x-wiki
পূর্ববাহিনী গঙ্গা ও পশ্চিমবাহিনী নর্মদার যুক্তবেণী যদি সম্ভবপর হত, তবে তা আধুনিক বাংলা নাটকের উৎপত্তির একটি সুন্দর উপমা হতে পারত। বস্তুত আধুনিক নাটকের বহিরঙ্গে পাশ্চাত্য প্রভাব যেমন সুস্পষ্ট, অন্তরঙ্গে দেশীয় ঐতিহ্যের ভাবাবেগ-জনিত তরঙ্গোচ্ছ্বাসও তেমনই প্রবল। এর আঙ্গিক ইংরেজি নাটক থেকে গৃহীত, কিন্তু প্রাণবস্তু পূর্বপ্রবহমান যাত্রা বা গীতাভিনয় থেকে আহৃত। সুতরাং বাংলা নাটকের উৎস অনুসন্ধান করতে গিয়ে প্রাচীন যাত্রা ও আধুনিক পাশ্চাত্য নাটকের প্রভাব উভয়ের আলোচনাই অপরিহার্য।
==যাত্রার আদিরূপ==
যাত্রার একটি আদিরূপ নিশ্চিতভাবেই বিদ্যমান ছিল, এমন ধারণা অযৌক্তিক নয়। কিন্তু সেই রূপ সংস্কৃত নাটকেরই অনুবর্তন কিনা এমন প্রশ্ন ওঠা সঙ্গত। প্রাচীনকাল থেকেই ভারতে সংস্কৃত নাটকের প্রচলন ছিল। কিন্তু তা ছিল রাজদরবারের বস্তু, বিদগ্ধজনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। কিন্তু যাত্রার পিছনে আছে লোকনাট্যের ঐতিহ্য, তার ক্ষেত্রও অনেকটাই বিস্তৃত। তাছাড়া বাংলা ভাষার উদ্ভবও হয়েছে অনেক পরে, এই ভাষার বয়স মোটামুটি এক হাজার বছর মাত্র। চর্যাপদে ‘নাটক’ শব্দটির একটি ক্ষীণ আভাস পাওয়া যায়। প্রাক্-চৈতন্যযুগের ''শ্রীকৃষ্ণকীর্তন'' কাব্যেই সর্বপ্রথম ‘নাট’ শব্দটির পাওয়া যায়। কাব্যটিকে কয়েকটি পালার সমষ্টি বলা যায়। এর গানগুলির মধ্যেও সংলাপের প্রভাব লক্ষণীয়। কৃষ্ণ, রাধা, বড়ায়ির চরিত্রও গীতাভিনয়ের চরিত্রের ছাঁদেই গড়া হয়েছে। এ থেকে বোঝা যায়, প্রাচীনকালে বাংলায় যাত্রার ধরনে নাটগীতের অভিনয় হত। দুই, তিন বা ততোধিক পাত্রপাত্রীর গীতের সাহায্যে অনুরূপ কথোপকথন বা অঙ্গভঙ্গি করে পৌরাণিক কাহিনি, বিশেষত কৃষ্ণকথার অভিনয় করত। এমন অভিনয়ের সর্বপ্রথম উল্লেখ পাওয়া যায় চৈতন্যযুগে অর্থাৎ ষোড়শ শতকের একেবারে গোড়ায়। চৈতন্য মহাপ্রভু তাঁর মেসোমশাই চন্দ্রশেখর আচার্যের গৃহে ''রুম্নিণীহরণ'' অভিনয় করেছিলেন। তাতে নৃত্য ও গীতেরই প্রাধান্য ছিল। অনুমান করা যায়, সংলাপ যা ছিল তা পদ্যেই ছিল, গদ্যে নয়। বৃন্দাবনদাসের ''চৈতন্যভাগবত'' গ্রন্থে ‘কৃষ্ণযাত্রা’ শব্দটির উল্লেখ পাওয়া যায়। এই অভিনয়ের প্রভাবেই পরবর্তীকালে রচিত হয় রূপ গোস্বামীর ''বিদগ্ধমাধব'' ও ''ললিতমাধব'' এবং কবি কর্ণপূরের ''চৈতন্যচন্দ্রোদয়'' নামক সংস্কৃত নাটকগুলি।
==মধ্যযুগে নাট্যরস পরিবেশনের প্রয়াস==
মধ্যযুগীয় মঙ্গলকাব্যগুলি ছিল প্রধানত আখ্যানকাব্য। এগুলি সাধারণত পাঠ করা হত না, বরং মন্দিরা, মৃদঙ্গ, নূপুর সহযোগে গীত হত। কাহিনির অন্তর্গত চরিত্রগুলির মধ্যে নাট্যগুণের অভাব ছিল না। অতএব অনুমান করা যায়, গাইবার সময় আঙ্গিক অভিব্যক্তির মাধ্যমেই কিছুটা নাট্যরস পরিবেশনের চেষ্টাও করা হত।
==যাত্রা==
এইভাবে পৌরাণিক কাহিনির ভিত্তিতে যে কৃষ্ণযাত্রার আরম্ভ হয়েছিল, উনিশ শতকের শেষ পর্যন্ত তার ধারা প্রায় অব্যাহত ছিল। অবশ্য যাত্রা যে কেবল কৃষ্ণ-বিষয়কই ছিল তা নয়, ‘চণ্ডীযাত্রা’, ‘শিবযাত্রা’, ‘মনসার ভাসান যাত্রা’ প্রভৃতির উল্লেখও পাওয়া যায়। গোড়ায় ‘যাত্রা’ বলতে দেবপূজা উপলক্ষ্যে শোভাযাত্রা অথবা নাটগীতকেই বোঝাত। কৃষ্ণযাত্রার মধ্যে কালীয়দমন পালা অধিক জনপ্রিয় ছিল বলে কৃষ্ণযাত্রার নামান্তর হয় কালীয়দমন যাত্রা বা কালীয়দমন। কৃষ্ণযাত্রায় যাঁরা কৃতিত্ব প্রদর্শন করেছিলেন তাঁদের মধ্যে অষ্টাদশ শতকের শেষভাগে আবির্ভূত বীরভূম জেলার পরমানন্দ অধিকারী, শ্রীদাম অধিকারী, সুদাম অধিকারী, লোচন অধিকারী, কাটোয়ার পীতাম্বর অধিকারী প্রমুখের নাম উল্লেখযোগ্য। ইতিমধ্যে বাঁধা যাত্রাপালার উদ্ভব ঘটে। বাঁধা যাত্রাপালায় বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেছিলেন কৃষ্ণনগরের গোবিন্দ অধিকারী ও কৃষ্ণকমল গোস্বামী। তার আগেই ভারতচন্দ্রের প্রভাবে জনমানসে এক ধরনের রুচিবিকৃতি ঘটেছিল। মানুষের কাহিনি নিয়ে বিদ্যাসুন্দর যাত্রার উদ্ভব এরই ফলশ্রুতি। এই সময়ে গোপাল উড়ের যাত্রাই ছিল প্রসিদ্ধ। কৃষ্ণকমল এরই মধ্যে কৃষ্ণযাত্রাকে কিছুটা উঁচু সুরে বাঁধার চেষ্টা করেছিলেন। তাতে গানেরই প্রাধান্য ছিল। এইজন্য যাত্রাকে এখনও ‘যাত্রাগান’ নামে অভিহিত করা হয়।
==নতুন যাত্রাপদ্ধতি ও গীতাভিনয়==
ইতিমধ্যে এদেশে ইংরেজি শিক্ষার হাওয়া বইতে শুরু করেছিল। ইংরেজি আদর্শে কলকাতায় থিয়েটার ও নাটকের অভিনয়ও প্রচলিত হয়েছিল ততদিনে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে যাত্রাপদ্ধতির পরিবর্তনেরও প্রয়োজন দেখা দিল। মনোমোহন বসু, ব্রজমোহন রায়, মতিলাল রায়, নীলকণ্ঠ মুখোপাধ্যায় প্রমুখ সুকণ্ঠ গায়ক ও বাঁধনদারের প্রচেষ্টায় ইংরেজি আদর্শের নাটকের সঙ্গে কথকতা-ভঙ্গির বক্তৃতা এবং যাত্রা ও পাঁচালি-পদ্ধতির ভক্তিরসাত্মক গান জুড়ে দিয়ে নতুন যাত্রাপদ্ধতি উদ্ভূত হল। অবশ্য এগুলিতে বক্তৃতা থাকলেও গানের প্রাধান্য যথেষ্টই ছিল। এই কারণে এইরকম সংগীত-প্রধান পালাগানকে বলা হত ‘গীতাভিনয়’। আধুনিক কালেও যাত্রাপালার এই গীতাভিনয় নামটি বহুল প্রচলিত।
==যাত্রাপালা এবং মির্যাকল প্লে ও মর্যালিটি প্লে==
পূর্বেই বলা হয়েছে, যাত্রাগান প্রধানত দেবমাহাত্ম্য-বর্ণনাকারী নৃত্যগীত। মধ্যযুগীয় ইউরোপে মির্যাকল প্লে (Miracle Plays) ও মর্যালিটি প্লে (Morality Plays) নামে ধর্মীয় নাট্যাভিনয়ও ছিল ঈশ্বর-মাহাত্ম্যমূলক। অবশ্য যাত্রার সঙ্গে এগুলির কিছু পার্থক্যও আছে। যাত্রা গীতিপ্রধান এবং মির্যাকল ও মর্যালিটি প্লে সংলাপ ও অভিনয়-প্রধান। এই প্রসঙ্গে প্রশ্ন উঠতে পারে, আধুনিক পাশ্চাত্য নাটকের সঙ্গে যখন মির্যাকল ও মর্যালিটি প্লে-র সম্পর্ক বিশেষভাবে স্বীকৃত, সেক্ষেত্রে এদেশে শুধুমাত্র যাত্রা থেকেই কেন আধুনিক নাট্যকলার উদ্ভব হল না। এর উত্তরে বলতে হয়, নাটক সর্বদাই মঞ্চের অপেক্ষা রাখে এবং আধুনিক নাট্যমঞ্চ ইংরেজের আগমনের পূর্বে এদেশে অজানা ছিল। অধিকন্তু যে সামাজিক পরিবেশে আধুনিক নাটক সৃষ্টি সম্ভব, ইংরেজ আমলের পূর্বে বাংলায় সেই পরিবেশের অভাব ছিল। যে কর্মচঞ্চল ব্যক্তিচরিত্র নাট্যকলার মূল উপাদান, ইংরেজি শিক্ষা ও পাশ্চাত্য সভ্যতার সংঘাতেই এখানে তার স্ফূরণ ঘটেছিল।
==ইংরেজি নাট্যশালার আদর্শ ও বাংলা নাটক==
অষ্টাদশ শতকের শেষভাগেই এদেশে ইংরেজি নাট্যশালার স্থাপিত হয়। উনিশ শতকে যখন বাঙালির নবজাগরণ ঘটে, তখন তারা ইউরোপীয় সাহিত্যের সঙ্গে বিশেষভাবে পরিচিত হয়। সেই সূত্রে শেকসপিয়র, মলিয়ের প্রমুখের সঙ্গেও তাদের পরিচয় ঘটে। তারপর পাশ্চাত্য নাট্যশৈলীতে রচিত নাটকের অভিনয় দেখার পর কৃষ্ণযাত্রা বা গীতাভিনয় আর তাদের রসপিপাসা নিবৃত্ত করতে পারল না। শিক্ষিত বাঙালি তাই পাশ্চাত্য আদর্শে নাট্যরচনায় প্রবৃত্ত হল। রামনারায়ণ তর্করত্ন, মাইকেল মধুসূদন দত্ত ও দীনবন্ধু মিত্র সেই প্রয়াসেরই ফল। এইভাবে নাটক বলতে আমরা আজ যা বুঝি, পাশ্চাত্য প্রভাবের ফলেই তার উদ্ভব ঘটল। কিন্তু দীনবন্ধুকে বাদ দিলে অন্য দুজনের নাটকে ইংরেজি আদর্শের সঙ্গে সংস্কৃত নাট্যশৈলীর মিশ্রণও দেখতে পাওয়া যায়। সুতরাং আদি বাংলা নাটক যে অবিমিশ্র সাহিত্য নয়, তা স্পষ্টই বোঝা যায়। আবার কিছুকাল পরে গিরিশচন্দ্র ঘোষ এসে বাংলা নাটকের দিক পরিবর্তন করালেন। সেখানে দেখা যায় পুরোনো গীতাভিনয়েরই প্রাধান্য। চৈতন্যযুগ থেকে যে ভক্তিপ্রবাহ বাঙালির অন্তরে প্রবহমান, যার আধারে যাত্রা ও গীতাভিনয়ের উদ্ভব, গিরিশচন্দ্রের নাটকে মানবলীলা অপেক্ষা সেই দেবলীলার প্রতিই সমধিক প্রবণতা পরিলক্ষিত হয়। সুতরাং নাটক রচনা করতে গিয়ে আমরা পাশ্চাত্য শৈলীকে গ্রহণ করলেও বাংলার নিজস্ব সংস্কারকে যে কাটিয়ে উঠতে পারিনি, তা ঐতিহাসিক সত্য। তাই বলতে হয় আধুনিক যুগে বাংলা নাটকের উদ্ভবের মূলে পাশ্চাত্য নাটক ও দেশীয় যাত্রা দুইই ক্রিয়াশীল ছিল।
{{বইয়ের বিষয়শ্রেণী}}
huwoh3m7krif66my12xeidtd7ebsep8
আধুনিক বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস/ঐতিহাসিক নাটক
0
27162
84436
2025-06-16T21:37:14Z
Jonoikobangali
676
"পাশ্চাত্য নাট্যশালার দৃষ্টান্তে উদ্বুদ্ধ হয়ে তারই অনুকরণে কলকাতায় নাট্যশালার প্রতিষ্ঠিত হয়। তেমনই ইংরেজি নাটক, বিশেষত শেকসপিয়রের নাটক, সেকালের শিক্ষিত বাঙালিকে ম..." দিয়ে পাতা তৈরি
84436
wikitext
text/x-wiki
পাশ্চাত্য নাট্যশালার দৃষ্টান্তে উদ্বুদ্ধ হয়ে তারই অনুকরণে কলকাতায় নাট্যশালার প্রতিষ্ঠিত হয়। তেমনই ইংরেজি নাটক, বিশেষত শেকসপিয়রের নাটক, সেকালের শিক্ষিত বাঙালিকে মুগ্ধ করে। শেকসপিয়রীয় ট্র্যাজেডি অবলম্বনে যোগেন্দ্রচন্দ্র গুপ্ত রচনা করেন প্রথম বাংলা নাটক ''কীর্তিবিলাস'' (১৮৫২)। কিন্তু তারপর সার্থক ঐতিহাসিক নাটকের জন্য অপেক্ষা করতে হয় আরও নয় বছর। সামাজিক প্রহসন ও পৌরাণিক নাটকের যুগ পার হয়ে বাংলা নাট্যসাহিত্য পদার্পণ করে ঐতিহাসিক নাটকের যুগে।
==প্রথম পর্ব: মাইকেল মধুসূদন দত্ত==
বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী মাইকেল মধুসূদন দত্তই বাংলা ঐতিহাসিক নাটকের প্রথম স্রষ্টা। তাঁর ''কৃষ্ণকুমারী'' (১৮৬১) নাটকের কাহিনি কর্নেল টডের ''অ্যানালস অ্যান্ড অ্যান্টিকুইটিজ অফ রাজস্থান'' থেকে গৃহীত। টডের গ্রন্থটি যে প্রধানত কিংবদন্তিমূলক, আধুনিক গবেষণায় তা স্বীকৃত। কিন্তু সেকালে বইটি ইতিহাস রূপেই স্বীকৃতি লাভ করেছিল। সুতরাং ''কৃষ্ণকুমারী''-কে ঐতিহাসিক নাটক বলা চলে। নাটকের প্রয়োজনে উপকাহিনি কোনও কল্পিত ঘটনা হতে পারে, কিন্তু ''কৃষ্ণকুমারী''-তে প্রধান ঘটনাবিন্যাসে মধুসূদন টডের গ্রন্থটিকে প্রায় বিশ্বস্তভাবেই অনুসরণ করেছেন। এই নাটকে কেবল পাশ্চাত্য আঙ্গিকই অনুসৃত হয়নি, গভীর অন্তর্দ্বন্দ্বের ভিতর দিয়ে পাশ্চাত্য ট্র্যাজেডি রচনার প্রয়াসও পরিলক্ষিত হয়। ঐতিহাসিক নাটকের প্রথম পর্বে এই একটি মাত্র নাটকই পাওয়া যায়। এই পর্বের নাটকে পাশ্চাত্য নাট্যশৈলীর সঙ্গে পাশ্চাত্য নাটকের ভাববস্তুর সংমিশ্রণের প্রয়াসই প্রধান। ট্র্যাজেডি রচনার মূলেও সেই একই প্রেরণা বর্তমান। অর্থাৎ সব দিক দিয়েই পাশ্চাত্য নাটকের আদর্শকে তুলে ধরার একটি প্রয়াস এই পর্বের ঐতিহাসিক নাটকের বৈশিষ্ট্য।
==দ্বিতীয় পর্ব: জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর, ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ, দ্বিজেন্দ্রলাল রায়, গিরিশচন্দ্র ঘোষ ও অন্যান্য নাট্যকার==
ঐতিহাসিক নাটকের দ্বিতীয় পর্বের সূত্রপাত জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটকের মাধ্যমে। ঐতিহাসিক বীরত্বগাথা ও ভারতের গৌরবকাহিনি কীর্তন করে দেশবাসীর স্বদেশপ্রীতি উদ্বোধিত করাই ছিল তাঁর নাট্যরচনার মৌলিক প্রেরণা। ''পুরুবিক্রম'' (১৮৭৪), ''সরোজিনী'' (১৮৭৫), ''অশ্রুমতী'' (১৮৭৯) ও ''স্বপ্নময়ী'' (১৮৮২) সেই প্রেরণারই ফল। লক্ষণীয় বিষয়, চারটির মধ্যে দুটি (''সরোজিনী'' ও ''অশ্রুমতী'') রাজপুত কাহিনি থেকে গৃহীত। মধুসূদনের ''কৃষ্ণকুমারী''-ও তাই। এর কারণ, রাজপুত জাতির শৌর্য ও আত্মত্যাগের মধ্যেই নাট্যকারগণ স্বদেশপ্রীতির দৃষ্টান্ত দেখতে পেয়েছিলেন, তাই রাজপুত কাহিনিই প্রধানত দেশপ্রেমের প্রতীক বলে বিবেচিত হয়েছিল। তখন দেশে একটি স্বাদেশিক চেতনা পরিব্যাপ্ত হয়েছিল, নাট্যকারদের উপরেও সেই প্রভাব অনিবার্যভাবে ক্রিয়াশীল হয়ে তাঁদের উদ্বুদ্ধ করেছিল এই শ্রেণির নাটক রচনায়। তাই নাটকগুলি যত না নাটক হয়েছে, তার চেয়ে বেশি হয়েছে স্বদেশপ্রেম প্রচারের বাহন। মধুসূদনের নাটকে অবশ্য এর বীজ নিহিত ছিল, কিন্তু প্রতিভাবান বলে তিনি সেটিকেই সর্বস্ব করে তোলেননি। তিনি নাটক লিখতে চেয়েছিলেন, আর জ্যোতিরিন্দ্রনাথ চেয়েছিলেন নাটকের আকারে দেশপ্রেমের উদ্বোধন।
এই পর্বের অপর প্রধান নাট্যকার ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ। তাঁর ''প্রতাপ আদিত্য'' ১৯০৩ সালের রচনা। এই নাটকে অনৈতিহাসিক ঘটনা, এমনকি অলৌকিক ঘটনাও আছে; নাটক হিসেবেও এটি ব্যর্থ। তবু এক সময়ে এটি প্রচুর জনসমাদর লাভ করেছিল। ''অশোক'' (১৯০৮), ''পদ্মিনী'' (১৯০৬), ''চাঁদবিবি'' (১৯০৭), ''আলমগীর'' (১৯২১) প্রভৃতি তাঁর লেখা অন্যান্য ঐতিহাসিক নাটক। বঙ্গভঙ্গ-বিরোধী আন্দোলনের সময়ই তাঁর অধিকাংশ ঐতিহাসিক নাটক রচিত হয়। সেই সময়ে জাতীয়তাবাদের উপজাতরূপে এদেশে আর-একটি বিষয় প্রাধান্য লাভ করেছিল। তা হিন্দু-মুসলমানের মিলন আন্দোলন। ক্ষীরোদপ্রসাদ কালাতিক্রমণ দোষে দুষ্ট হয়েও তাঁর ''আলমগীর'' ও ''চাঁদবিবি'' নাটকে হিন্দু-মুসলমানের মিলনগীত গেয়েছেন। পরবর্তীকালের ঐতিহাসিক নাটকগুলির ধ্রুবপদই হয়ে উঠেছিল দুই সম্প্রদায়ের মিলনবাণী। অবশ্য ''আলমগীর'' নাটকে ক্ষীরোদপ্রসাদ আওরঙ্গজেব ও উদিপুরীর চরিত্রে গভীর অন্তর্দ্বন্দ্ব সৃষ্টিতে নাটকীয় প্রতিভার সাক্ষরও রেখেছেন।
এই পর্বের অপর নাট্যকার দ্বিজেন্দ্রলাল রায় রচনা করেন ''তারাবাঈ'' (১৯০৩), ''রাণা প্রতাপ সিংহ'' (১৯০৫), ''দুর্গাদাস'' (১৯০৫), ''নূরজাহান'' (১৯০৮), ''মেবার পতন'' (১৯০৮), ''সাজাহান'' (১৯০৯), ''চন্দ্রগুপ্ত'' (১৯১১) ও ''সিংহল বিজয়'' (১৯১৫)—এই কটি ঐতিহাসিক নাটক। প্রথম ঐতিহাসিক নাটক ''তারাবাঈ'' নিতান্তই পরীক্ষামূলক ও বিশেষত্বহীন রচনা। ''রাণা প্রতাপ সিংহ'', ''দুর্গাদাস'' ও ''মেবার পতন'' নাটক তিনটির বিশেষবস্তু দেশপ্রেম ও জাতীয়তাবাদ। তবে অন্য নাটকগুলি এইরকম বাহ্য প্রেরণা থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত। এই প্রসঙ্গে ''সাজাহান'' ও ''চন্দ্রগুপ্ত'' নাটক দুটির নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। নাটক হিসেবে এগুলির অনেক ত্রুটি আছে। দুই নাটকেই (এবং দ্বিজেন্দ্রলালের অন্যান্য নাটকেও) সংলাপের ভাষা অতিমাত্রায় কাব্যধর্মীয় বলে তা নাট্যরসবিরোধী। অধিকন্তু সকল শ্রেণির চরিত্রের মুখেই একই রকম ভাষা চরিত্রগুলির বাস্তবতা নষ্ট করেছে। উপকাহিনি গ্রন্থনেও দ্বিজেন্দ্রলাল ব্যর্থ। সর্বোপরি নাটকের মধ্যে আদর্শবাদের প্রাধান্যের প্রবণতায় নাট্যকারের আত্মগুপ্তি-ধর্ম তিনি পালন করতে পারেননি। তবু দ্বিজেন্দ্রলালই প্রথম নাট্যকার যিনি বাংলা নাটকের রূপ ও রীতি বিশেষভাবে মার্জিত করে তাকে বহুলাংশে সাহিত্যগুণান্বিত করে তুলেছেন। তাঁর ঐতিহাসিক নাটক বিবৃতিসর্বস্ব নয়, ঘটনার সংঘাতে ও চরিত্রের দ্বন্দ্বে জীবনরসে পরিপূর্ণ। সাজাহান, চাণক্য ও নূরজাহান চরিত্র তিনটির অন্তর্দ্বন্দ্বে তিনি উচ্চ নাটকীয় প্রতিভার পরিচয় দিয়েছেন।
এই পর্বের অন্যতম উল্লেখ্য নাট্যকার গিরিশচন্দ্র ঘোষ। সম্ভবত ক্ষীরোদপ্রসাদের ''প্রতাপ আদিত্য'' ও দ্বিজেন্দ্রলালের ''রাণা প্রতাপ সিংহ'' ও ''দুর্গাদাস'' নাটকের জনপ্রিয়তাই তাঁকে ''সিরাজদ্দৌলা'' (১৯০৬), ''মীরকাশিম'' (১৯০৬) ও ''ছত্রপতি শিবাজী'' (১৯০৭) রচনায় অনুপ্রাণিত করেছিল। এই নাটকগুলির মূল সুর দেশপ্রেম। নাটকগুলিতে কালানৌচিত্য দোষের সঙ্গে তরল উচ্ছ্বাস ও অস্বাভাবিকতা মিশে এগুলিকে মেলোড্রামায় পরিণত করেছে। কয়েকটি ঐতিহাসিক নাটক তিনি আগেও রচনা করেছিলেন। এগুলি হল ''আনন্দ রহো'' (১৮৮১), ''চণ্ড'' (১৮৯০), ''কালাপাহাড়'' (১৮৯৬), ''সৎনাম'' (১৯০৪) ইত্যাদি। ''আনন্দ রহো''-তে আকবর, মানসিংহ প্রভৃতি কয়েকটি নাম ছাড়া ঐতিহাসিকতা কিছুই নেই, নাট্যগুণ তো একেবারেই নেই। ''চণ্ড'' নাটকটির উৎস টডের গ্রন্থ। ''কালাপাহাড়'' ও ''সৎনাম''-এ যৎসামান্য ঐতিহাসিক উপাদান আছে মাত্র। তাঁর নাটকগুলিতে যাত্রার প্রভাব প্রচুর। ঐতিহাসিক নাট্যকার হিসেবে জ্যোতিরিন্দ্রনাথের পরেই তাঁর আবির্ভাব। জ্যোতিরিন্দ্রনাথের প্রথম ঐতিহাসিক নাটক ''পুরুবিক্রম'' প্রকাশিত হয় ১৮৭৪ সালে, আর গিরিশচন্দ্রের প্রথম ঐতিহাসিক নাটক ''আনন্দ রহো'' প্রকাশিত হয় ১৮৮১ সালে। অথচ জ্যোতিরিন্দ্রনাথ যাত্রার প্রভাব থেকে মুক্ত ছিলেন, কিন্তু গিরিশচন্দ্র ''সৎনাম'' পর্যন্ত যাত্রার প্রভাবের ঊর্ধ্বে উঠতে পারেননি। আসলে ইতিহাস ছিল গিরিশচন্দ্রের কাছে একটি বহিরাবরণ মাত্র। অন্তরালে তাঁর শিল্পীমানসের গীতাভিনয়-প্রবণতাই জয়ী হয়েছে।
অপরেশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়ের ''অযোধ্যার বেগম'' (১৯২১) ও ''মগের মুলুক'' (১৯২৭), প্রমথনাথ রায়চৌধুরীর ''ভাগ্যচক্র'' ও ''চিতোরোদ্ধার'', সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ''হিন্দু-বীর'', ''মোগল পাঠান'' ও ''আলেকজান্ডার'' এবং নিশিকান্ত বসুরায়ের ''বঙ্গে বর্গী'', ''দেবলাদেবী'' ও ''ললিতাদিত্য'' এই পর্বেরই নাটক। তবে এই নাট্যকারেরা গিরিশচন্দ্রের যাত্রাশৈলী ত্যাগ করে দ্বিজেন্দ্রলালের অনুসরণেই নাটক রচনা করেছিলেন।
এই পর্বের নাটক বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, বিশুদ্ধ ঐতিহাসিক নাটক রচনার প্রেরণায় ''সাজাহান'', ''চন্দ্রগুপ্ত'', ''নূরজাহান'', ''আলমগীর'' প্রভৃতি অল্প কয়েকটি নাটকই লেখা হয়েছে; বেশিরভাগ নাটকের মৌলিক প্রেরণা দেশপ্রেম, জাতীয়তাবাদ ও হিন্দু-মুসলমান ঐক্যের বাণী প্রচার। নাট্যরচনায় কল্পনার অতিচার আছে, কালানৌচিত্য ও পাত্রানৌচিত্য দোষও আছে। তবে গঠনের দিক থেকে নাটক আগের চেয়ে অনেক বেশি পরিচ্ছন্ন হয়েছে। ভাষাও অনেক মার্জিত হয়েছে। তাছাড়া নাটকীয় চরিত্রে দ্বন্দ্ব সৃষ্টির কিছুটা প্রয়াসও দেখা গিয়েছে। বাংলায় প্রথম ঐতিহাসিক নাটক ''কৃষ্ণকুমারী'' রচিত হয়েছিল শেকসপিয়রের আদর্শে। মধুসূদন হয়তো সর্বাংশে সফল হননি, কিন্তু আদর্শটি সামনেই ছিল। দ্বিতীয় পর্বের ঐতিহাসিক নাটকে সেই অনুসরণের দৃষ্টান্ত প্রায় অনুপস্থিত। সেখানে ঐতিহাসিক কাহিনির আধারে দেশপ্রেমের তরল উচ্ছ্বাসেরই প্রাধান্য, না হয় কোনো ক্রমে একটি ঐতিহাসিক কাহিনির সংলাপময় রূপ বিধৃত। কেবল দ্বিজেন্দ্রলালই দু-একটি চরিত্রে শেকসপিয়রীয় দ্বন্দ্বের অবতারণা করে কিছুটা সফল হয়েছেন। নাট্যবিচারে একমাত্র ভাষার অগ্রগতি ও কাহিনির অধিকতর পরিচ্ছন্ন রূপদান ছাড়া দ্বিতীয় পর্বের ঐতিহাসিক নাটক যে প্রথম পর্বের নাটকটি থেকে শিল্পগুণে খুব বেশি অগ্রসর হয়েছে তা বলা চলে না।
==তৃতীয় পর্ব: যোগেশচন্দ্র চৌধুরী ও অন্যান্য নাট্যকার==
ঐতিহাসিক নাটকের তৃতীয় পর্বের সূত্রপাত যোগেশচন্দ্র চৌধুরীর ''দিগ্বিজয়ী'' (১৯২৮) নাটকের মাধ্যমে। তাঁর এই একটিমাত্র ঐতিহাসিক নাটকে শেকসপিয়রীয় নাট্যশৈলীর পরিবর্তে আধুনিক ইবসেনীয় নাট্যশৈলী অবলম্বিত হয়েছে। ইবসেনীয় নাট্যশৈলীর বৈশিষ্ট্য এই যে, এতে নাট্যবর্ণিত কাহিনির কাল খুবই সংক্ষিপ্ত; এমনকি তা একদিনের অথবা মঞ্চে যতক্ষণ ঘটনাটি ঘটে ততক্ষণেরও হতে পারে। কারণ, এই শৈলী অনুযায়ী, নাটকীয় ঘটনা রয়ে-সয়ে ঘটে না। তা আকস্মিক ঝড়ের মতো, ক্ষণকালের জন্য এসে একটা বিপর্যয় বা বিপ্লব ঘটিয়ে দিয়ে চলে যায়। নাট্যকাহিনির এমন সংক্ষিপ্ততায় তা দৃঢ়বদ্ধ ও সংহত হয়ে ওঠে। এইরকম নাটকে অঙ্ক-ভাগ থাকলেও দৃশ্য-ভাগ বড়ো একটা থাকে না, এক-একটি দৃশ্যেই এক-একটি অঙ্ক সমাপ্ত হয়। অন্তরঙ্গেও এগুলি চরিত্রপ্রধান নাটক। সেই চরিত্র কেবল স্বীয় স্বভাবজাত দুর্বলতার জন্যই পরিণতির দিকে অগ্রসর হয় না, পারিপার্শ্বিক অবস্থার ঘাত-প্রতিঘাতও তার প্রধান কারণ হয়ে ওঠে। ''দ্বিগ্বিজয়ী''-র নাদির শাহ এমনই এক চরিত্র। এই পর্বে শেকসপিয়র থেকে বাংলা নাটক প্রবেশ করে আধুনিক যুগে। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় এই আধুনিক নাট্যশৈলী পরবর্তীকালে উৎপল দত্তের ''কল্লোল'' ছাড়া আর কোনও ঐতিহাসিক নাটকে খুব একটা অনুসৃত হয়নি। যোগেশচন্দ্রের পরবর্তী নাট্যকার মন্মথ রায়ের ''অশোক'', ''মীরকাশিম'', ''অমৃত অতীত'' দ্বিজেন্দ্রলালের রীতিতেই রচিত। শচীন্দ্রনাথ সেনগুপ্তের ''গৈরিক পতাকা'', ''সিরাজদ্দৌলা'', ''ধাত্রীপান্না'', ''রাষ্ট্র-বিপ্লব'' প্রভৃতি নাটকও প্রাচীনপন্থী। ''সিরাজদ্দৌলা''-র মতো আধুনিক নাটকেও যাত্রাশৈলীর মিশ্রণ বিস্ময়কর। এই বিষয়ে মহেন্দ্র গুপ্ত একেবারেই গিরিশযুগে ফিরে গিয়েছেন। তাঁর নাটকে ভাবের উচ্ছ্বাস ছাড়া আর কিছুই নেই। এছাড়া কালানৌচিত্য দোষ, অবাস্তব ও অবান্তর চরিত্রচিত্রণ তো আছেই; আর আছে হাস্যকৌতুকের নামে সস্তা ভাঁড়ামি। ঐতিহাসিক নাটক মহেন্দ্র গুপ্তে এসেই থেমে গিয়েছে। পরবর্তী নাট্যকারগণ এইরকম নাটক রচনায় আর উৎসাহ বোধ করেননি। ''কল্লোল'' ব্যতিক্রম মাত্র। আধুনিক জনরুচিও ঐতিহাসিক নাটকে আর তেমন কৌতূহল বোধ করে না, সম্ভবত এই কারণেই ঐতিহাসিক নাটকের উপর এরপর যবনিকাপাত হয়ে যায়।
{{বইয়ের বিষয়শ্রেণী}}
2komtm9hawll2tj22zjemuc3nesasbj
বিষয়শ্রেণী:বই:দর্শনের সাথে পরিচয়
14
27163
84625
2025-06-17T02:19:27Z
MdsShakil
7280
"{{মূল বই বিষয়শ্রেণী}}" দিয়ে পাতা তৈরি
84625
wikitext
text/x-wiki
{{মূল বই বিষয়শ্রেণী}}
3521gy9bjbq7uw9q6660hmeadzrmek9
ব্যবহারকারী আলাপ:Rahmat Rumon
3
27164
84635
2025-06-17T02:40:21Z
KanikBot
8129
স্বাগতম!
84635
wikitext
text/x-wiki
== বাংলা উইকিবইয়ে স্বাগত ==
{{স্বাগত/২য় সংস্করণ}} ০২:৪০, ১৭ জুন ২০২৫ (ইউটিসি)
5gb6308e206esxsqc33xr7cynzcgsv1
84636
84635
2025-06-17T02:42:26Z
Rahmat Rumon
11747
84636
wikitext
text/x-wiki
আমার ব্যবহারকারী পেইজে আপনাকে স্বাগতম।
== বাংলা উইকিবইয়ে স্বাগত ==
{{স্বাগত/২য় সংস্করণ}} ০২:৪০, ১৭ জুন ২০২৫ (ইউটিসি)
iij6awxf68zzp7jira9e99yziu3xkl8
ব্যবহারকারী:Rahmat Rumon
2
27165
84637
2025-06-17T02:43:25Z
Rahmat Rumon
11747
"আমার ব্যবহারকারী পেইজে আপনাকে স্বাগতম।" দিয়ে পাতা তৈরি
84637
wikitext
text/x-wiki
আমার ব্যবহারকারী পেইজে আপনাকে স্বাগতম।
47qhiwgmmrrm8ar3cl31amvn0nc07ci
ব্যবহারকারী আলাপ:Aslam badsha
3
27166
84643
2025-06-17T06:40:20Z
KanikBot
8129
স্বাগতম!
84643
wikitext
text/x-wiki
== বাংলা উইকিবইয়ে স্বাগত ==
{{স্বাগত/২য় সংস্করণ}} ০৬:৪০, ১৭ জুন ২০২৫ (ইউটিসি)
7sbuo9x5jw4z39llorg6oj0s56ip9ub