উইকিবই
bnwikibooks
https://bn.wikibooks.org/wiki/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8_%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A6%BE
MediaWiki 1.45.0-wmf.6
first-letter
মিডিয়া
বিশেষ
আলাপ
ব্যবহারকারী
ব্যবহারকারী আলাপ
উইকিবই
উইকিবই আলোচনা
চিত্র
চিত্র আলোচনা
মিডিয়াউইকি
মিডিয়াউইকি আলোচনা
টেমপ্লেট
টেমপ্লেট আলোচনা
সাহায্য
সাহায্য আলোচনা
বিষয়শ্রেণী
বিষয়শ্রেণী আলোচনা
উইকিশৈশব
উইকিশৈশব আলাপ
বিষয়
বিষয় আলাপ
রন্ধনপ্রণালী
রন্ধনপ্রণালী আলোচনা
TimedText
TimedText talk
মডিউল
মডিউল আলাপ
উইকিবই:পড়ার ঘর
4
2625
84654
84391
2025-06-17T17:43:32Z
MediaWiki message delivery
1948
/* উইকিমিডিয়া ফাউন্ডেশন বোর্ড অফ ট্রাস্টি ২০২৫ - প্রার্থীদের জন্য আহ্বান */ নতুন অনুচ্ছেদ
84654
wikitext
text/x-wiki
{{পড়ার ঘর-শীর্ষ}}
__NEWSECTIONLINK__
[[বিষয়শ্রেণী:উইকিবই আলোচনা|{{PAGENAME}}]]
[[বিষয়শ্রেণী:উইকিবই সাহায্য ফোরাম]]
__TOC__
== বিষয়বস্তু অনুবাদ ==
{{Tracked|T318343}}
সুপ্রিয় সবাই,
[[:mw:Extension:ContentTranslation|বিষয়বস্তু অনুবাদ সরঞ্জাম]] সম্পর্কে আশা করি সবাই জানেন, এটি অন্য উইকি থেকে কোন পাতা অনুবাদে অনেক সাহায্য করে এবং একইসাথে স্বয়ংক্রিয়ভাবে পাতায় অনেক কাজ করে দেয়। বাংলা উইকিপিডিয়ায় এই সরঞ্জাম ব্যবহারের অভিজ্ঞতা সাপেক্ষে আমি বলতে পারি এটি বাংলা উইকিবইয়ের জন্যও এটি বেশ উপযোগী হবে এবং উইকিবইয়ের উন্নতিতে সহায়তা করবে। বেশ কিছুদিন পূর্বে আমি এটা নিয়ে মিডিয়াউইতে আলোচনা করেছিলাম এবং: সম্পর্কিত একটি মেইলিং লিস্টেও মেইল করেছিলাম, সেখানে এই এক্সটেশনটি সক্রিয় করার জন্য আমাকে সম্প্রদায়ের ঐকমত্য সাপেক্ষে উইকিমিডিয়া ফ্যাব্রিকেটরে টাস্ক খোলার কথা বলা হয়েছে। আমি এই এক্সটেশনটি সক্রিয় করার ব্যাপারে সম্প্রদায়ের সুচিন্তিত মতামত আশা করছি। —[[ব্যবহারকারী:MdsShakil|শাকিল]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:MdsShakil|আলাপ]]) ১৬:১৭, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ (ইউটিসি)
*{{সমর্থন}} বাংলা উইকিপিডিয়া হোক বা উইকিবুক, কন্টেন্ট ও স্বেচ্ছাসেবক কম থাকায় অনুবাদের কোনো বিকল্প নেই। আর বিষয়বস্তু অনুবাদ টুলটি যদি থাকে তাহলে তো কথাই নেই। আমি নিজেও @[[ব্যবহারকারী:MdsShakil|শাকিল]] ভাইয়ের পরামর্শে এই টুলটি দেওয়ার জন্য ডেভলপারের আলাপ পাতায় বার্তা দিয়েছিলাম। টুলটি অবশেষে যুক্ত হচ্ছে জেনে ভালো লাগছে। [[ব্যবহারকারী:মোহাম্মদ মারুফ|মোহাম্মদ মারুফ]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:মোহাম্মদ মারুফ|আলাপ]]) ০০:১০, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২২ (ইউটিসি)
* {{সমর্থন}}, আশা করি এটি চালুর মাধ্যমে বাংলা উইকিবই আরও সমৃদ্ধ হবে। [[ব্যবহারকারী:RiazACU|আল রিয়াজ উদ্দীন ]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:RiazACU|আলাপ]]) ০৪:০৫, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২২ (ইউটিসি)
* {{সমর্থন}}। [[ব্যবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:MS Sakib|আলাপ]]) ১৩:২৯, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২২ (ইউটিসি)
*{{সমর্থন}} — <span style="background:linear-gradient(#ff0000,#228b22);padding:2px 12px;font-size:12px">[[User:SHEIKH|<span style="color:#fff">SHEIKH</span>]] [[User talk:SHEIKH|<span style="color:#fff">(আলাপন)</span>]]</span> ২৩:৫২, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ (ইউটিসি)
:প্রায় বছরখানেক পর মন্তব্য জানাচ্ছি, কারণ এটা এখন আমার নজরে এসেছিল। আমি {{সমর্থন}} জানাচ্ছি। উইকিবইয়ের বইয়ের সংখ্যা বাড়াতে এবং উচ্চমানের অনুবাদের জন্য এটি খুবই সহায়ক হবে বলে মনে করি। [[ব্যবহারকারী:Asked42|Asked42]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:Asked42|আলাপ]]) ১৯:৩৫, ৩০ মার্চ ২০২৪ (ইউটিসি)
:{{সমর্থন}} [[ব্যবহারকারী:Md Mobashir Hossain|Md Mobashir Hossain]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:Md Mobashir Hossain|আলাপ]]) ০৬:২৬, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ (ইউটিসি)
:বিষয়বস্তু অনুবাদ যুক্ত করার অগ্রগতি কেমন? [[ব্যবহারকারী:Dark1618|Dark1618]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:Dark1618|আলাপ]]) ০২:২৮, ২৪ মে ২০২৫ (ইউটিসি)
== <span lang="en" dir="ltr" class="mw-content-ltr">Vote on the Charter for the Universal Code of Conduct Coordinating Committee</span> ==
<div lang="en" dir="ltr" class="mw-content-ltr">
<section begin="announcement-content" />
:''[[m:Special:MyLanguage/wiki/Universal Code of Conduct/Coordinating Committee/Charter/Announcement - voting opens|You can find this message translated into additional languages on Meta-wiki.]] [https://meta.wikimedia.org/w/index.php?title=Special:Translate&group=page-{{urlencode:wiki/Universal Code of Conduct/Coordinating Committee/Charter/Announcement - voting opens}}&language=&action=page&filter= {{int:please-translate}}]''
Hello all,
I am reaching out to you today to announce that the voting period for the [[m:Special:MyLanguage/Universal Code of Conduct/Coordinating Committee|Universal Code of Conduct Coordinating Committee]] (U4C) Charter is now open. Community members may [[m:Special:MyLanguage/Universal_Code_of_Conduct/Coordinating_Committee/Charter/Voter_information|cast their vote and provide comments about the charter via SecurePoll]] now through '''2 February 2024'''. Those of you who voiced your opinions during the development of the [[foundation:Special:MyLanguage/Policy:Universal_Code_of_Conduct/Enforcement_guidelines|UCoC Enforcement Guidelines]] will find this process familiar.
The [[m:Special:MyLanguage/Universal Code of Conduct/Coordinating Committee/Charter|current version of the U4C Charter]] is on Meta-wiki with translations available.
Read the charter, go vote and share this note with others in your community. I can confidently say the U4C Building Committee looks forward to your participation.
On behalf of the UCoC Project team,<section end="announcement-content" />
</div>
[[m:User:RamzyM (WMF)|RamzyM (WMF)]] ১৮:০৭, ১৯ জানুয়ারি ২০২৪ (ইউটিসি)
<!-- https://meta.wikimedia.org/w/index.php?title=Distribution_list/Global_message_delivery&oldid=25853527-এর তালিকা ব্যবহার করে বার্তাটি ব্যবহারকারী:RamzyM (WMF)@metawiki পাঠিয়েছেন -->
== <span lang="en" dir="ltr" class="mw-content-ltr">Last days to vote on the Charter for the Universal Code of Conduct Coordinating Committee</span> ==
<div lang="en" dir="ltr" class="mw-content-ltr">
<section begin="announcement-content" />
:''[[m:Special:MyLanguage/wiki/Universal Code of Conduct/Coordinating Committee/Charter/Announcement - voting reminder|You can find this message translated into additional languages on Meta-wiki.]] [https://meta.wikimedia.org/w/index.php?title=Special:Translate&group=page-{{urlencode:wiki/Universal Code of Conduct/Coordinating Committee/Charter/Announcement - voting reminder}}&language=&action=page&filter= {{int:please-translate}}]''
Hello all,
I am reaching out to you today to remind you that the voting period for the [[m:Special:MyLanguage/Universal Code of Conduct/Coordinating Committee|Universal Code of Conduct Coordinating Committee]] (U4C) charter will close on '''2 February 2024'''. Community members may [[m:Special:MyLanguage/Universal_Code_of_Conduct/Coordinating_Committee/Charter/Voter_information|cast their vote and provide comments about the charter via SecurePoll]]. Those of you who voiced your opinions during the development of the [[foundation:Special:MyLanguage/Policy:Universal_Code_of_Conduct/Enforcement_guidelines|UCoC Enforcement Guidelines]] will find this process familiar.
The [[m:Special:MyLanguage/Universal Code of Conduct/Coordinating Committee/Charter|current version of the U4C charter]] is on Meta-wiki with translations available.
Read the charter, go vote and share this note with others in your community. I can confidently say the U4C Building Committee looks forward to your participation.
On behalf of the UCoC Project team,<section end="announcement-content" />
</div>
[[m:User:RamzyM (WMF)|RamzyM (WMF)]] ১৬:৫৯, ৩১ জানুয়ারি ২০২৪ (ইউটিসি)
<!-- https://meta.wikimedia.org/w/index.php?title=Distribution_list/Global_message_delivery&oldid=25853527-এর তালিকা ব্যবহার করে বার্তাটি ব্যবহারকারী:RamzyM (WMF)@metawiki পাঠিয়েছেন -->
== ইউসিওসি সমন্বয় কমিটির সনদ অনুমোদনের ভোটের ফলাফল ঘোষণা ==
<section begin="announcement-content" />
:''[[m:Special:MyLanguage/wiki/Universal Code of Conduct/Coordinating Committee/Charter/Announcement - results|বার্তাটি মেটা-উইকিতে আরও একাধিক ভাষায় অনুবাদ করা হয়েছে।]] [https://meta.wikimedia.org/w/index.php?title=Special:Translate&group=page-{{urlencode:wiki/Universal Code of Conduct/Coordinating Committee/Charter/Announcement - results}}&language=&action=page&filter= {{int:please-translate}}]''
প্রিয় সবাই,
সার্বজনীন আচরণবিধির অগ্রগতি অনুসরণ করার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ। আমি আজকে আপনাদের [[m:Special:MyLanguage/Universal Code of Conduct/Coordinating Committee/Charter|ইউসিওসি সমন্বয় কমিটির]] [[m:Special:MyLanguage/Universal_Code_of_Conduct/Coordinating_Committee/Charter/Voter_information|সনদ অনুমোদনের ভোটের]] ফলাফল জানানোর জন্য বার্তাটি দিচ্ছি। মোট 1746জন অবদানকারী সনদ অনুমোদনের প্রক্রিয়ায় ভোটদান করেছেন যার মধ্যে 1249জন ভোটার সনদটি সমর্থন করেছেন এবং 420জন ভোটার সমর্থন করেননি। ভোটদানের সময় ভোটারদের সনদটি সম্পর্কে মন্তব্য করার উপায়ও উন্মুক্ত ছিলো।
ভোটদানের পরিসংখ্যানের একটি প্রতিবেদন এবং ভোটারদের মন্তব্যের একটি সারসংক্ষেপ আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে মেটা-উইকিতে প্রকাশিত হবে।
পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে শীঘ্রই জানার জন্য অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন।
ইউসিওসি প্রকল্প দলের পক্ষে,<section end="announcement-content" />
[[m:User:RamzyM (WMF)|RamzyM (WMF)]] ১৮:২৩, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ (ইউটিসি)
<!-- https://meta.wikimedia.org/w/index.php?title=Distribution_list/Global_message_delivery&oldid=26160150-এর তালিকা ব্যবহার করে বার্তাটি ব্যবহারকারী:RamzyM (WMF)@metawiki পাঠিয়েছেন -->
== [[উইকিবই:উইকিবই লিখন প্রতিযোগিতা ২০২৪|উইকিবই লিখন প্রতিযোগিতা ২০২৪]] ==
সুপ্রিয় সুধী, পূর্ববর্তী ২০২১ এবং ২০২২ সালের ন্যায় আমি উইকিবইয়ে একটি প্রতিযোগিতা আয়োজনের পরিকল্পনা করছি। এইবার অনুবাদ ও নতুন বই তৈরির মাধ্যমে উইকিশৈশব, রন্ধনপ্রণালী ও মূল নামস্থান সমৃদ্ধ করা হবে। প্রতিযোগিতার লক্ষ্য হচ্ছে, যথাসম্ভব বিষয়বস্তুর গ্যাপ কমিয়ে আনা ও উইকিবইকে বিস্তৃত সম্প্রদায়ের সাথে পরিচিত করানো। এই প্রতিযোগিতা সফলভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে উইকিমিডিয়া ফাউন্ডেশন কাছে গ্ৰ্যান্ট চাওয়া হয়েছে, মেটা উইকিতে গ্ৰ্যান্টের পাতাটি প্রকাশিত হলে এখানে লিংক শেয়ার করা হবে। এই প্রতিযোগিতার পরিকল্পনা নিয়ে কারও কোনো মতামত বা পরামর্শ থাকলে এখানে কিংবা প্রয়োজন অনুসারে ব্যক্তিগতভাবে জানানোর অনুরোধ করছি। ধন্যবাদ —[[ব্যবহারকারী:MdsShakil|শাকিল]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:MdsShakil|আলাপ]]) ১৯:১৬, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ (ইউটিসি)
:লিংক: https://meta.wikimedia.org/wiki/Grants:Programs/Wikimedia_Community_Fund/Rapid_Fund/Bangla_Wikibooks_and_Wiktionary_writing_contest_2024_(ID:_22472684) —[[ব্যবহারকারী:MdsShakil|শাকিল]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:MdsShakil|আলাপ]]) ১৫:৫৩, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ (ইউটিসি)
== অপসারণকৃত পাতা পর্যালোচনা করা যায় কিনা ==
যে পাতাটি অপসারণ করা হয় তার অপসারণ এর পূর্বের সংস্করণ গুলো পর্যালোচনা করার মাধ্যম রয়েছে কি না? [[ব্যবহারকারী:Mahbubslt|Mahbubslt]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:Mahbubslt|আলাপ]]) ০১:১৬, ১ মার্চ ২০২৪ (ইউটিসি)
== <span lang="en" dir="ltr" class="mw-content-ltr"> Report of the U4C Charter ratification and U4C Call for Candidates now available</span> ==
<div lang="en" dir="ltr" class="mw-content-ltr">
<section begin="announcement-content" />
:''[[m:Special:MyLanguage/Universal Code of Conduct/Coordinating Committee/Election/2024/Announcement – call for candidates| You can find this message translated into additional languages on Meta-wiki.]] [https://meta.wikimedia.org/w/index.php?title=Special:Translate&group=page-{{urlencode:Universal Code of Conduct/Coordinating Committee/Election/2024/Announcement – call for candidates}}&language=&action=page&filter= {{int:please-translate}}]''
Hello all,
I am writing to you today with two important pieces of information. First, the [[m:Special:MyLanguage/Universal Code of Conduct/Coordinating Committee/Charter/Vote results|report of the comments from the Universal Code of Conduct Coordinating Committee (U4C) Charter ratification]] is now available. Secondly, the call for candidates for the U4C is open now through April 1, 2024.
The [[m:Special:MyLanguage/Universal Code of Conduct/Coordinating Committee|Universal Code of Conduct Coordinating Committee]] (U4C) is a global group dedicated to providing an equitable and consistent implementation of the UCoC. Community members are invited to submit their applications for the U4C. For more information and the responsibilities of the U4C, please [[m:Special:MyLanguage/Universal Code of Conduct/Coordinating Committee/Charter|review the U4C Charter]].
Per the charter, there are 16 seats on the U4C: eight community-at-large seats and eight regional seats to ensure the U4C represents the diversity of the movement.
Read more and submit your application on [[m:Special:MyLanguage/Universal Code of Conduct/Coordinating Committee/Election/2024|Meta-wiki]].
On behalf of the UCoC project team,<section end="announcement-content" />
</div>
[[m:User:RamzyM (WMF)|RamzyM (WMF)]] ১৬:২৪, ৫ মার্চ ২০২৪ (ইউটিসি)
<!-- https://meta.wikimedia.org/w/index.php?title=Distribution_list/Global_message_delivery&oldid=26276337-এর তালিকা ব্যবহার করে বার্তাটি ব্যবহারকারী:RamzyM (WMF)@metawiki পাঠিয়েছেন -->
== <span lang="en" dir="ltr" class="mw-content-ltr"> Wikimedia Foundation Board of Trustees 2024 Selection</span> ==
<div lang="en" dir="ltr" class="mw-content-ltr">
<section begin="announcement-content" />
: ''[[m:Special:MyLanguage/Wikimedia Foundation elections/2024/Announcement/Selection announcement| You can find this message translated into additional languages on Meta-wiki.]]''
: ''<div class="plainlinks">[[m:Special:MyLanguage/Wikimedia Foundation elections/2024/Announcement/Selection announcement|{{int:interlanguage-link-mul}}]] • [https://meta.wikimedia.org/w/index.php?title=Special:Translate&group=page-{{urlencode:Wikimedia Foundation elections/2024/Announcement/Selection announcement}}&language=&action=page&filter= {{int:please-translate}}]</div>''
Dear all,
This year, the term of 4 (four) Community- and Affiliate-selected Trustees on the Wikimedia Foundation Board of Trustees will come to an end [1]. The Board invites the whole movement to participate in this year’s selection process and vote to fill those seats.
The [[m:Special:MyLanguage/Wikimedia Foundation elections committee|Elections Committee]] will oversee this process with support from Foundation staff [2]. The Board Governance Committee created a Board Selection Working Group from Trustees who cannot be candidates in the 2024 community- and affiliate-selected trustee selection process composed of Dariusz Jemielniak, Nataliia Tymkiv, Esra'a Al Shafei, Kathy Collins, and Shani Evenstein Sigalov [3]. The group is tasked with providing Board oversight for the 2024 trustee selection process, and for keeping the Board informed. More details on the roles of the Elections Committee, Board, and staff are here [4].
Here are the key planned dates:
* May 2024: Call for candidates and call for questions
* June 2024: Affiliates vote to shortlist 12 candidates (no shortlisting if 15 or less candidates apply) [5]
* June-August 2024: Campaign period
* End of August / beginning of September 2024: Two-week community voting period
* October–November 2024: Background check of selected candidates
* Board's Meeting in December 2024: New trustees seated
Learn more about the 2024 selection process - including the detailed timeline, the candidacy process, the campaign rules, and the voter eligibility criteria - on [[m:Special:MyLanguage/Wikimedia Foundation elections/2024|this Meta-wiki page]], and make your plan.
'''Election Volunteers'''
Another way to be involved with the 2024 selection process is to be an Election Volunteer. Election Volunteers are a bridge between the Elections Committee and their respective community. They help ensure their community is represented and mobilize them to vote. Learn more about the program and how to join on this [[m:Special:MyLanguage/Wikimedia Foundation elections/2024/Election Volunteers|Meta-wiki page]].
Best regards,
[[m:Special:MyLanguage/User:Pundit|Dariusz Jemielniak]] (Governance Committee Chair, Board Selection Working Group)
[1] https://meta.wikimedia.org/wiki/Special:MyLanguage/Wikimedia_Foundation_elections/2021/Results#Elected
[2] https://foundation.wikimedia.org/wiki/Committee:Elections_Committee_Charter
[3] https://foundation.wikimedia.org/wiki/Minutes:2023-08-15#Governance_Committee
[4] https://meta.wikimedia.org/wiki/Wikimedia_Foundation_elections_committee/Roles
[5] Even though the ideal number is 12 candidates for 4 open seats, the shortlisting process will be triggered if there are more than 15 candidates because the 1-3 candidates that are removed might feel ostracized and it would be a lot of work for affiliates to carry out the shortlisting process to only eliminate 1-3 candidates from the candidate list.<section end="announcement-content" />
</div>
[[User:MPossoupe_(WMF)|MPossoupe_(WMF)]]১৯:৫৬, ১২ মার্চ ২০২৪ (ইউটিসি)
<!-- https://meta.wikimedia.org/w/index.php?title=Distribution_list/Global_message_delivery&oldid=26349432-এর তালিকা ব্যবহার করে বার্তাটি ব্যবহারকারী:MPossoupe (WMF)@metawiki পাঠিয়েছেন -->
== আপনার উইকি শীঘ্রই পঠন মোডে যাবে ==
<section begin="server-switch"/><div class="plainlinks">
[[:m:Special:MyLanguage/Tech/Server switch|এই বার্তাটি অন্য ভাষায় পড়ুন]] • [https://meta.wikimedia.org/w/index.php?title=Special:Translate&group=page-Tech%2FServer+switch&language=&action=page&filter= {{int:please-translate}}]
[[foundation:|উইকিমিডিয়া ফাউন্ডেশন]] তার উপাত্ত কেন্দ্রগুলির মধ্যে ট্রাফিক আনা-নেওয়ার বিষয়টি পরীক্ষা করবে। এটি নিশ্চিত করবে যে উইকিপিডিয়া এবং উইকিমিডিয়ার অন্যান্য উইকিসমূহ এমনকি একটি দুর্যোগের পরেও অনলাইন থাকবে।
সকল ট্রাফিক সুইচ করার তারিখ হলো '''{{#time:j xg|2024-03-20|bn}}'''। পরীক্ষাটি শুরু হবে '''[https://zonestamp.toolforge.org/{{#time:U|2024-03-20T14:00|en}} {{#time:H:i e|2024-03-20T14:00}}]'''-তে (বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় ও পশ্চিমবঙ্গ সময় রাত ৭টা ৩০ মিনিটে)।
দুর্ভাগ্যবশত, [[mw:Special:MyLanguage/Manual:What is MediaWiki?|মিডিয়াউইকির]] কিছু সীমাবদ্ধতার কারণে, এই পরিবর্তনের সময় সব সম্পাদনা অবশ্যই বন্ধ রাখতে হবে। এই ব্যাঘাত ঘটানোর জন্য আমরা ক্ষমাপ্রার্থী, এবং আমরা ভবিষ্যতে এটিকে হ্রাস করার জন্য কাজ করছি।
'''সব উইকিতে অল্প সময়ের জন্য, আপনি সম্পাদনা করতে পারবেন না, তবে আপনি উইকি পড়তে সক্ষম হবেন।'''
*আপনি {{#time:l j xg Y|2024-03-20|bn}}-এ প্রায় এক ঘণ্টা পর্যন্ত সম্পাদনা করতে পারবেন না।
*আপনি যদি এই সময়ে সম্পাদনা করার বা সংরক্ষণ করার চেষ্টা করেন, তাহলে আপনি একটি ত্রুটি বার্তা দেখতে পাবেন। আমরা আশা করি যে কোনও সম্পাদনা এই সময়ের মধ্যে নষ্ট হবে না, কিন্তু আমরা তার নিশ্চয়তা দিতে পারছি না। আপনি যদি ত্রুটি বার্তাটি দেখতে পান, তাহলে অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন যতক্ষণ না সবকিছু স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসছে। এরপর আপনি আপনার সম্পাদনা সংরক্ষণ করতে সক্ষম হবেন। সতর্কতাস্বরূপ, আমরা সুপারিশ করছি যে উক্ত সময়ে আপনি আপনার সম্পাদনার একটি অনুলিপি তৈরি করে রাখুন।
''অন্যান্য প্রভাব'':
*পটভূমির কাজগুলো ধীর হবে এবং কিছু নাও কাজ করতে পারে। লাল লিঙ্কগুলো স্বাভাবিকের মত দ্রুত হালনাগাদ নাও হতে পারে। আপনি যদি একটি নিবন্ধ তৈরি করেন যা ইতিমধ্যে অন্য কোথাও সংযুক্ত আছে, সেক্ষেত্রে লিঙ্ক স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি সময় ধরে লাল থাকবে। কিছু দীর্ঘ চলমান স্ক্রিপ্ট বন্ধ করতে হবে।
* আমরা আশা করি যে কোড হালনাগাদগুলি অন্য সপ্তাহের মতো চলবে। তবে যদি অপারেশনের পর প্রয়োজন হয়, কিছু ক্ষেত্রে কোড হালনাগাদ বন্ধ থাকতে পারে।
* [[mw:Special:MyLanguage/GitLab|গিটল্যাব]] প্রায় ৯০ মিনিটের জন্য অনুপলব্ধ থাকবে।
যদি প্রয়োজন হয় তাহলে এই প্রকল্পটি স্থগিত করা হতে পারে। আপনি [[wikitech:Switch_Datacenter|wikitech.wikimedia.org তে সময়সূচি পড়তে পারেন]]। যেকোনো পরিবর্তন সময়সূচীতে ঘোষণা করা হবে। এই সম্পর্কে আরও বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হবে। এই কার্যক্রমটি শুরু হওয়ার ৩০ মিনিট পূর্বে সমস্ত উইকিতে একটি ব্যানার প্রদর্শন করা হবে। '''দয়া করে আপনার সম্প্রদায়কে এই তথ্যটি জানান।'''</div><section end="server-switch"/>
[[user:Trizek (WMF)|Trizek (WMF)]], ০০:০০, ১৫ মার্চ ২০২৪ (ইউটিসি)
<!-- https://meta.wikimedia.org/w/index.php?title=Distribution_list/Non-Technical_Village_Pumps_distribution_list&oldid=25636619-এর তালিকা ব্যবহার করে বার্তাটি ব্যবহারকারী:Trizek (WMF)@metawiki পাঠিয়েছেন -->
== <span lang="en" dir="ltr" class="mw-content-ltr">Vote now to select members of the first U4C</span> ==
<div lang="en" dir="ltr" class="mw-content-ltr">
<section begin="announcement-content" />
:''[[m:Special:MyLanguage/Universal Code of Conduct/Coordinating Committee/Election/2024/Announcement – vote opens|You can find this message translated into additional languages on Meta-wiki.]] [https://meta.wikimedia.org/w/index.php?title=Special:Translate&group=page-{{urlencode:Universal Code of Conduct/Coordinating Committee/Election/2024/Announcement – vote opens}}&language=&action=page&filter= {{int:please-translate}}]''
Dear all,
I am writing to you to let you know the voting period for the Universal Code of Conduct Coordinating Committee (U4C) is open now through May 9, 2024. Read the information on the [[m:Special:MyLanguage/Universal Code of Conduct/Coordinating Committee/Election/2024|voting page on Meta-wiki]] to learn more about voting and voter eligibility.
The Universal Code of Conduct Coordinating Committee (U4C) is a global group dedicated to providing an equitable and consistent implementation of the UCoC. Community members were invited to submit their applications for the U4C. For more information and the responsibilities of the U4C, please [[m:Special:MyLanguage/Universal Code of Conduct/Coordinating Committee/Charter|review the U4C Charter]].
Please share this message with members of your community so they can participate as well.
On behalf of the UCoC project team,<section end="announcement-content" />
</div>
[[m:User:RamzyM (WMF)|RamzyM (WMF)]] ২০:১৯, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ (ইউটিসি)
<!-- https://meta.wikimedia.org/w/index.php?title=Distribution_list/Global_message_delivery&oldid=26390244-এর তালিকা ব্যবহার করে বার্তাটি ব্যবহারকারী:RamzyM (WMF)@metawiki পাঠিয়েছেন -->
== নিবন্ধ তৈরি ==
উইকিবইয়ে কী ধরনের নিবন্ধ তৈরি করতে পারব?
উইকিবইয়ের নীতিমালা সম্পর্কে জানতে চাই। [[ব্যবহারকারী:মোঃ সাকিবুল হাসান|মোঃ সাকিবুল হাসান]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:মোঃ সাকিবুল হাসান|আলাপ]]) ১৭:৫৩, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ (ইউটিসি)
:@[[ব্যবহারকারী:মোঃ সাকিবুল হাসান|মোঃ সাকিবুল হাসান]] [[WB:NOT]] পাতাটি দেখুন, আশা করি বুঝতে পারবেন। বুঝতে না পারলে বা আপনার আরও কোনো প্রশ্ন থাকলে করতে পারেন। —[[ব্যবহারকারী:MdsShakil|শাকিল]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:MdsShakil|আলাপ]]) ২০:২৫, ২১ মে ২০২৪ (ইউটিসি)
== <span lang="en" dir="ltr" class="mw-content-ltr">Sign up for the language community meeting on May 31st, 16:00 UTC</span> ==
<div lang="en" dir="ltr" class="mw-content-ltr">
<section begin="message"/>Hello all,
The next language community meeting is scheduled in a few weeks - May 31st at 16:00 UTC. If you're interested, you can [https://www.mediawiki.org/w/index.php?title=Wikimedia_Language_engineering/Community_meetings#31_May_2024 sign up on this wiki page].
This is a participant-driven meeting, where we share language-specific updates related to various projects, collectively discuss technical issues related to language wikis, and work together to find possible solutions. For example, in the last meeting, the topics included the machine translation service (MinT) and the languages and models it currently supports, localization efforts from the Kiwix team, and technical challenges with numerical sorting in files used on Bengali Wikisource.
Do you have any ideas for topics to share technical updates related to your project? Any problems that you would like to bring for discussion during the meeting? Do you need interpretation support from English to another language? Please reach out to me at ssethi(__AT__)wikimedia.org and [[etherpad:p/language-community-meeting-may-2024|add agenda items to the document here]].
We look forward to your participation!
<section end="message"/>
</div>
<bdi lang="en" dir="ltr">[[User:MediaWiki message delivery|MediaWiki message delivery]]</bdi> ২১:২১, ১৪ মে ২০২৪ (ইউটিসি)
<!-- https://meta.wikimedia.org/w/index.php?title=Distribution_list/Global_message_delivery&oldid=26390244-এর তালিকা ব্যবহার করে বার্তাটি ব্যবহারকারী:SSethi (WMF)@metawiki পাঠিয়েছেন -->
== সহোদর প্রকল্পের জীবনচক্রের কার্যপ্রণালী সম্পর্কে মতামত জানাতে আমন্ত্রণ ==
<section begin="announcement-content" />
:''[[m:Special:MyLanguage/Wikimedia Foundation Community Affairs Committee/Procedure for Sibling Project Lifecycle/Invitation for feedback (MM)|মেটা উইকিতে আরো বেশ কিছু ভাষায় বার্তাটির অনূদিত সংস্করণ পাওয়া যাবে।]] [https://meta.wikimedia.org/w/index.php?title=Special:Translate&group=page-{{urlencode:Wikimedia Foundation Community Affairs Committee/Procedure for Sibling Project Lifecycle/Invitation for feedback (MM)}}&language=&action=page&filter= {{int:please-translate}}]''
[[File:Sibling Project Lifecycle Conversation 3.png|150px|right|link=:m:Special:MyLanguage/Wikimedia Foundation Community Affairs Committee/Procedure for Sibling Project Lifecycle]]
প্রিয় সম্প্রদায়ের সদস্যবৃন্দ,
[[:m:Special:MyLanguage/Wikimedia Foundation Board of Trustees|উইকিমিডিয়া ফাউন্ডেশনের ট্রাস্টি বোর্ডের]] [[:m:Special:MyLanguage/Wikimedia Foundation Community Affairs Committee|সম্প্রদায় বিষয়ক কমিটি]] (সিএসি) আপনাকে '''[[:m:Special:MyLanguage/Wikimedia Foundation Community Affairs Committee/Procedure for Sibling Project Lifecycle|সহোদর প্রকল্পের জীবনচক্রের কার্যপ্রণালীর খসড়ার]]''' উপর মতামত দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানাচ্ছে। এই খসড়ায় উইকিমিডিয়ার সহোদর প্রকল্পগুলি চালু এবং বন্ধ করার জন্য প্রস্তাবিত পদক্ষেপ এবং প্রয়োজনীয়তার রূপরেখা দেওয়া হয়েছে এবং এর লক্ষ্য যে কোনও নতুন অনুমোদিত প্রকল্প চালু করলে সেটি যেন সাফল্য পায় তা নিশ্চিত করা। এটি প্রকল্পের ভাষা সংস্করণ চালু বা বন্ধ করার পদ্ধতি থেকে পৃথক, যা [[:m:Special:MyLanguage/Language committee|ভাষা কমিটি]] বা [[m:Special:MyLanguage/Closing_projects_policy|প্রকল্প বন্ধকরণ নীতি]] দ্বারা পরিচালিত হয়।
আপনি [[:m:Special:MyLanguage/Talk:Wikimedia Foundation Community Affairs Committee/Procedure for Sibling Project Lifecycle#Review|এই পাতায়]] এই নিয়ে বিশদ তথ্য খুঁজে পেতে পারেন, পাশাপাশি আজ থেকে '''২৩ জুন ২০২৪''' তারিখ পর্যন্ত আপনার মতামত জানাতে পারেন।
এছাড়া আপনি কাজ করেন বা সমর্থন করেন এমন আগ্রহী প্রকল্পের সম্প্রদায়কে এই সম্পর্কে তথ্য জানাতে পারেন, এবং আপনি কার্যপ্রণালীটি আরও ভাষায় অনুবাদ করতে আমাদের সহায়তা করতে পারেন, যাতে লোকজন তাদের নিজস্ব ভাষা ব্যবহার করে আলোচনায় যোগ দিতে পারে।
সিএসি-র পক্ষ থেকে,<section end="announcement-content" />
[[m:User:RamzyM (WMF)|RamzyM (WMF)]] ০২:২৪, ২২ মে ২০২৪ (ইউটিসি)
<!-- https://meta.wikimedia.org/w/index.php?title=Distribution_list/Global_message_delivery&oldid=26390244-এর তালিকা ব্যবহার করে বার্তাটি ব্যবহারকারী:RamzyM (WMF)@metawiki পাঠিয়েছেন -->
== বাংলা উইকিসম্মেলন ২০২৪ এর স্বেচ্ছাসেবক দলে যোগদানের আমন্ত্রণ ==
সুধী,
আনন্দের সাথে জানাচ্ছি যে বাংলা উইকিপিডিয়ার ২০ বছর পূর্তি উদ্যাপনের অংশ হিসেবে এবছর উইকিমিডিয়া বাংলাদেশের উদ্যোগে ‘বাংলা উইকিসম্মেলন ২০২৪’ অনুষ্ঠানের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই সম্মেলনের উদ্দেশ্য উইকিমিডিয়ানদের ব্যক্তিগতভাবে একত্রিত করার মধ্য দিয়ে তাদের মধ্যে মতামত ও অভিজ্ঞতা বিনিময়, বিভিন্ন সমস্য ও জটিলতার সম্ভাব্য সমাধান নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে সর্বোত্তম অনুশীলন এবং অন্যান্য তথ্য বিনিময় করার জন্য একটি সাধারণ প্ল্যাটফর্ম প্রদান করা। বাংলাভাষী উইকিমিডিয়ানদের অংশগ্রহণে এই সম্মেলন ২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে বাংলাদেশের ঢাকার সন্নিকটে অনুষ্ঠিত হবে।
এই আয়োজনটি সুন্দর এবং সফল করতে আমাদের আরও কিছু স্বেচ্ছাসেবী প্রয়োজন, যারা মূল আয়োজক দলের সহযোগী হিসেবে বিভিন্ন উপদলে ভাগ হয়ে কাজ করবেন।
বর্তমানে তিনটি উপদল রয়েছে। যথা:
* বৃত্তি নির্ধারণকারী উপদল
* অনুষ্ঠান বিন্যাস উপদল
* কার্য পরিচালনা উপদল
স্বেচ্ছাসেবকবৃন্দ উপদলগুলোর সাথে কাজ করার সুবাদে দলগত কাজের মাধ্যমে নিজেদের সাংগঠনিক দক্ষতা বৃদ্ধি এবং উদ্ভাবনী প্রভিতা বিকাশের সুযোগ পাবেন।
আগ্রহী স্বেচ্ছাসবকগণ উপদলগুলোতে যোগ দেওয়ার জন্য [https://docs.google.com/forms/d/e/1FAIpQLScqnHcd6dKp-vDQs65xLoXSRNhm47HPMd5IWPpe9DlC2lWA6Q/viewform?usp=sf_link এই গুগল ফর্মটি পূরণ] করতে পারেন।
ধন্যবাদ।
বাংলা উইকিসম্মেলন ২০২৪-এর মূল আয়োজক দলের পক্ষে-
- [[ব্যবহারকারী:Tarunno|Tarunno]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:Tarunno|আলাপ]]) ১৬:০২, ২৭ মে ২০২৪ (ইউটিসি)
== প্রথম সর্বজনীন আচরণবিধি সমন্বয় কমিটি ঘোষণা ==
<section begin="announcement-content" />
:''[[m:Special:MyLanguage/Universal Code of Conduct/Coordinating Committee/Election/2024/Announcement – results|মেটা উইকিতে আরো বেশ কিছু ভাষায় বার্তাটির অনূদিত সংস্করণ পাওয়া যাবে।]] [https://meta.wikimedia.org/w/index.php?title=Special:Translate&group=page-{{urlencode:Universal Code of Conduct/Coordinating Committee/Election/2024/Announcement – results}}&language=&action=page&filter= {{int:please-translate}}]''
প্রিয় সবাই,
পর্যালোচনাকারীরা ভোটের ফলাফল যাচাই-বাছাই করেছেন। আমরা প্রথম [[m:Special:MyLanguage/Universal Code of Conduct/Coordinating Committee/Election/2024|সর্বজনীন আচরণবিধি সমন্বয় কমিটির নির্বাচনের]] ফলাফল ঘোষণা করছি।
আমরা নিম্নলিখিত ব্যক্তিদের ইউ৪সি-র আঞ্চলিক সদস্য হিসেবে ঘোষণা করতে পেরে আনন্দিত, যারা দুই বছর মেয়াদে দায়িত্ব পালন করবেন:
* উত্তর আমেরিকা (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা)
** –
* উত্তর ও পশ্চিম ইউরোপ
** [[m:Special:MyLanguage/User:Ghilt|Ghilt]]
* লাতিন আমেরিকা ও ক্যারিবীয়
** –
* মধ্য ও পূর্ব ইউরোপ (সিইই)
** —
* উপ-সাহারীয় আফ্রিকা
** –
* মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকা
** [[m:Special:MyLanguage/User:Ibrahim.ID|Ibrahim.ID]]
* পূর্ব, দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল (ইএসইএপি)
** [[m:Special:MyLanguage/User:0xDeadbeef|0xDeadbeef]]
* দক্ষিণ এশিয়া
** –
নিম্নলিখিত ব্যক্তিরা ইউ৪সি-র সম্প্রদায় সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন, যারা এক বছর মেয়াদে দায়িত্ব পালন করবেন:
* [[m:Special:MyLanguage/User:Barkeep49|Barkeep49]]
* [[m:Special:MyLanguage/User:Superpes15|Superpes15]]
* [[m:Special:MyLanguage/User:Civvì|Civvì]]
* [[m:Special:MyLanguage/User:Luke081515|Luke081515]]
* –
* –
* –
* –
এই প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণকারী সকলকে আবারও ধন্যবাদ এবং উইকিমিডিয়া আন্দোলন ও সম্প্রদায়ের মধ্যে নেতৃত্বদানের জন্য এবং উৎসর্গের জন্য প্রার্থীদের প্রতি অনেক কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে, ইউ৪সি, ইউসিওসি এবং প্রয়োগকারী নির্দেশিকাগুলি বাস্তবায়ন ও পর্যালোচনার জন্য ২০২৪-২৫ বছরের সভা এবং পরিকল্পনা শুরু করবে। [[m:Special:MyLanguage/Universal Code of Conduct/Coordinating Committee|মেটা-উইকিতে]] তাদের কাজ অনুসরণ করুন।
ইউসিওসি প্রকল্প দলের পক্ষে,<section end="announcement-content" />
[[m:User:RamzyM (WMF)|RamzyM (WMF)]] ০৮:১৪, ৩ জুন ২০২৪ (ইউটিসি)
<!-- https://meta.wikimedia.org/w/index.php?title=Distribution_list/Global_message_delivery&oldid=26390244-এর তালিকা ব্যবহার করে বার্তাটি ব্যবহারকারী:RamzyM (WMF)@metawiki পাঠিয়েছেন -->
বঙ্গ ভূমির রাজনৈতিক ইতিহাস ও সংস্কৃতি ঐতিহ্যের বৈচিত্র্যময় চাঞ্চল্যতা বা গতিপথ। [[ব্যবহারকারী:Rafee Rudra|Rafee Rudra]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:Rafee Rudra|আলাপ]]) ০৬:৩২, ৮ জুন ২০২৪ (ইউটিসি)
== <span lang="en" dir="ltr" class="mw-content-ltr">The final text of the Wikimedia Movement Charter is now on Meta</span> ==
<div lang="en" dir="ltr" class="mw-content-ltr">
<section begin="announcement-content" />
:''[[m:Special:MyLanguage/Movement Charter/Drafting Committee/Announcement - Final draft available|You can find this message translated into additional languages on Meta-wiki.]] [https://meta.wikimedia.org/w/index.php?title=Special:Translate&group=page-{{urlencode:Movement Charter/Drafting Committee/Announcement - Final draft available}}&language=&action=page&filter= {{int:please-translate}}]''
Hi everyone,
The final text of the [[m:Special:MyLanguage/Movement Charter|Wikimedia Movement Charter]] is now up on Meta in more than 20 languages for your reading.
'''What is the Wikimedia Movement Charter?'''
The Wikimedia Movement Charter is a proposed document to define roles and responsibilities for all the members and entities of the Wikimedia movement, including the creation of a new body – the Global Council – for movement governance.
'''Join the Wikimedia Movement Charter “Launch Party”'''
Join the [[m:Special:MyLanguage/Event:Movement Charter Launch Party|“Launch Party”]] on '''June 20, 2024''' at '''14.00-15.00 UTC''' ([https://zonestamp.toolforge.org/1718892000 your local time]). During this call, we will celebrate the release of the final Charter and present the content of the Charter. Join and learn about the Charter before casting your vote.
'''Movement Charter ratification vote'''
Voting will commence on SecurePoll on '''June 25, 2024''' at '''00:01 UTC''' and will conclude on '''July 9, 2024''' at '''23:59 UTC.''' You can read more about the [[m:Special:MyLanguage/Movement Charter/Ratification/Voting|voting process, eligibility criteria, and other details]] on Meta.
If you have any questions, please leave a comment on the [[m:Special:MyLanguage/Talk:Movement Charter|Meta talk page]] or email the MCDC at [mailto:mcdc@wikimedia.org mcdc@wikimedia.org].
On behalf of the MCDC,<section end="announcement-content" />
</div>
[[m:User:RamzyM (WMF)|RamzyM (WMF)]] ০৮:৪৪, ১১ জুন ২০২৪ (ইউটিসি)
<!-- https://meta.wikimedia.org/w/index.php?title=Distribution_list/Global_message_delivery&oldid=26390244-এর তালিকা ব্যবহার করে বার্তাটি ব্যবহারকারী:RamzyM (WMF)@metawiki পাঠিয়েছেন -->
== <span lang="en" dir="ltr" class="mw-content-ltr">Voting to ratify the Wikimedia Movement Charter is now open – cast your vote</span> ==
<div lang="en" dir="ltr" class="mw-content-ltr">
<section begin="announcement-content" />
:''[[m:Special:MyLanguage/Movement Charter/Drafting Committee/Announcement - Ratification vote opens|You can find this message translated into additional languages on Meta-wiki.]] [https://meta.wikimedia.org/w/index.php?title=Special:Translate&group=page-{{urlencode:Movement Charter/Drafting Committee/Announcement - Ratification vote opens}}&language=&action=page&filter= {{int:please-translate}}]''
Hello everyone,
The voting to ratify the [[m:Special:MyLanguage/Movement Charter|'''Wikimedia Movement Charter''']] is now open. The Wikimedia Movement Charter is a document to define roles and responsibilities for all the members and entities of the Wikimedia movement, including the creation of a new body – the Global Council – for movement governance.
The final version of the Wikimedia Movement Charter is [[m:Special:MyLanguage/Movement Charter|available on Meta in different languages]] and attached [https://commons.wikimedia.org/wiki/File:Wikimedia_Movement_Charter_(June_2024).pdf here in PDF format] for your reading.
Voting commenced on SecurePoll on '''June 25, 2024''' at '''00:01 UTC''' and will conclude on '''July 9, 2024''' at '''23:59 UTC'''. Please read more on the [[m:Special:MyLanguage/Movement Charter/Ratification/Voting|voter information and eligibility details]].
After reading the Charter, please [[Special:SecurePoll/vote/398|'''vote here''']] and share this note further.
If you have any questions about the ratification vote, please contact the Charter Electoral Commission at [mailto:cec@wikimedia.org '''cec@wikimedia.org'''].
On behalf of the CEC,<section end="announcement-content" />
</div>
[[m:User:RamzyM (WMF)|RamzyM (WMF)]] ১০:৫১, ২৫ জুন ২০২৪ (ইউটিসি)
<!-- https://meta.wikimedia.org/w/index.php?title=Distribution_list/Global_message_delivery&oldid=26989444-এর তালিকা ব্যবহার করে বার্তাটি ব্যবহারকারী:RamzyM (WMF)@metawiki পাঠিয়েছেন -->
== <span lang="en" dir="ltr" class="mw-content-ltr">Voting to ratify the Wikimedia Movement Charter is ending soon</span> ==
<div lang="en" dir="ltr" class="mw-content-ltr">
<section begin="announcement-content" />
:''[[m:Special:MyLanguage/Movement Charter/Drafting Committee/Announcement - Final reminder|You can find this message translated into additional languages on Meta-wiki.]] [https://meta.wikimedia.org/w/index.php?title=Special:Translate&group=page-{{urlencode:Movement Charter/Drafting Committee/Announcement - Final reminder}}&language=&action=page&filter= {{int:please-translate}}]''
Hello everyone,
This is a kind reminder that the voting period to ratify the [[m:Special:MyLanguage/Movement Charter|Wikimedia Movement Charter]] will be closed on '''July 9, 2024''', at '''23:59 UTC'''.
If you have not voted yet, please vote [[m:Special:SecurePoll/vote/398|on SecurePoll]].
On behalf of the [[m:Special:MyLanguage/Movement_Charter/Ratification/Voting#Electoral_Commission|Charter Electoral Commission]],<section end="announcement-content" />
</div>
[[m:User:RamzyM (WMF)|RamzyM (WMF)]] ০৩:৪৫, ৮ জুলাই ২০২৪ (ইউটিসি)
<!-- https://meta.wikimedia.org/w/index.php?title=Distribution_list/Global_message_delivery&oldid=26989444-এর তালিকা ব্যবহার করে বার্তাটি ব্যবহারকারী:RamzyM (WMF)@metawiki পাঠিয়েছেন -->
== বাংলা উইকিসম্মেলন ২০২৪: বৃত্তির আবেদন নেওয়া শুরু হয়েছে ==
[[চিত্র:Bangla WikiConference 2024 logo.svg|ডান|250px|বাংলা উইকিসম্মেলন ২০২৪]]
প্রিয় সবাই,
অত্যন্ত আনন্দের সাথে জানাচ্ছি যে, উইকিমিডিয়া বাংলাদেশ বাংলা উইকিমিডিয়া সম্প্রদায়ের বহুল প্রতিক্ষিত [[:wmbd:বাংলা উইকিসম্মেলন ২০২৪|বাংলা উইকিসম্মেলন ২০২৪]] আয়োজন করতে যাচ্ছে। এই সম্মেলনটি আগামী ১৮-১৯ অক্টোবর ঢাকার অদূরে গাজীপুরে অনুষ্ঠিত হবে। এই সম্মেলনের উদ্দেশ্য উইকিমিডিয়ানদের ব্যক্তিগতভাবে একত্রিত করার মধ্য দিয়ে তাদের মতামত শেয়ার, বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে সর্বোত্তম অনুশীলন এবং অন্যান্য তথ্য বিনিময় করার জন্য একটি সাধারণ প্ল্যাটফর্ম প্রদান করা। সম্মেলনে অংশ নিতে আগ্রহী বাংলাদেশ এবং ভারতে অবস্থানরত বাংলাভাষী অংশগ্রহণকারীদের জন্য বৃত্তির ব্যবস্থা রয়েছে। এই বৃত্তির অধীনে ভ্রমণ ভাতা ও সম্মেলনে থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। সম্মেলনে অংশ নিতে আগ্রহী প্রত্যেককেই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে হবে এবং আবেদন সফল হওয়া অংশগ্রহণকারীগণ সম্মেলনে অংশ নিতে পারবেন।
নিম্নলিখিত শর্তাবলী পূরণ করা সাপেক্ষে একজন উইকিমিডিয়ান বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন,
* উইকিমিডিয়া ব্যবহারকারী অ্যাকাউন্ট ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ বা এর আগে তৈরিকৃত হতে হবে।
* উক্ত অ্যাকাউন্টের অধীনে কমপক্ষে ১০০ বৈশ্বিক অবদান থাকতে হবে।
বৃত্তির জন্য আবেদন করতে [https://docs.google.com/forms/d/e/1FAIpQLSfCEqY3lwPpBx7JPYTyYtyi4MEPYf2M6qkH6ohbfvs9i7ZvgA/viewform?usp=sf_link এখানে ক্লিক করুন]। জমা পড়া আবেদনগুলো [[wmbd:বাংলা_উইকিসম্মেলন_২০২৪/আয়োজক#%E0%A6%AC%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF|বৃত্তি নির্ধারণী উপদল]] কর্তৃক যাচাই-বাছাইয়ের পরে বৃত্তিপ্রাপ্তদের তালিকা চূড়ান্ত করা হবে।
বিস্তারিত তথ্যের জন্য ভিজিট করুন: https://w.wiki/AWeV
বৃত্তির আবেদন গ্রহণ ৩১ জুলাই, ২০২৪ পর্যন্ত চলবে। বৃত্তি সম্পর্কিত কোন জিজ্ঞাসা থাকলে [[wmbd:আলাপ:বাংলা_উইকিসম্মেলন_২০২৪/বৃত্তি|আলাপ পাতায়]] করুন অথবা [mailto:bnwikiconference@wikimedia.org.bd bnwikiconference@wikimedia.org.bd] ঠিকানায় ইমেইল করুন।
বৃত্তি নির্ধারণী উপদলের পক্ষে, —[[ব্যবহারকারী:MdsShakil|শাকিল]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:MdsShakil|আলাপ]]) ১৭:৫৫, ৯ জুলাই ২০২৪ (ইউটিসি)
== <span lang="en" dir="ltr" class="mw-content-ltr">U4C Special Election - Call for Candidates</span> ==
<div lang="en" dir="ltr" class="mw-content-ltr">
<section begin="announcement-content" />
:''[[m:Special:MyLanguage/Universal Code of Conduct/Coordinating Committee/Election/2024 Special Election/Announcement – call for candidates|You can find this message translated into additional languages on Meta-wiki.]] [https://meta.wikimedia.org/w/index.php?title=Special:Translate&group=page-{{urlencode:Universal Code of Conduct/Coordinating Committee/Election/2024 Special Election/Announcement – call for candidates}}&language=&action=page&filter= {{int:please-translate}}]''
Hello all,
A special election has been called to fill additional vacancies on the U4C. The call for candidates phase is open from now through July 19, 2024.
The [[:m:Special:MyLanguage/Universal Code of Conduct/Coordinating Committee|Universal Code of Conduct Coordinating Committee]] (U4C) is a global group dedicated to providing an equitable and consistent implementation of the [[:foundation:Wikimedia Foundation Universal Code of Conduct|UCoC]]. Community members are invited to submit their applications in the special election for the U4C. For more information and the responsibilities of the U4C, please review the [[m:Special:MyLanguage/Universal Code of Conduct/Coordinating Committee/Charter|U4C Charter]].
In this special election, according to [[Special:MyLanguage/Universal Code of Conduct/Coordinating Committee/Charter#2. Elections and Terms|chapter 2 of the U4C charter]], there are 9 seats available on the U4C: '''four''' community-at-large seats and '''five''' regional seats to ensure the U4C represents the diversity of the movement. [[Special:MyLanguage/Universal Code of Conduct/Coordinating Committee/Charter#5. Glossary|No more than two members of the U4C can be elected from the same home wiki]]. Therefore, candidates must not have English Wikipedia, German Wikipedia, or Italian Wikipedia as their home wiki.
Read more and submit your application on [[m:Special:MyLanguage/Universal Code of Conduct/Coordinating Committee/Election/2024 Special Election|Meta-wiki]].
In cooperation with the U4C,<section end="announcement-content" />
</div>
-- [[m:User:Keegan (WMF)|Keegan (WMF)]] ([[m:User talk:Keegan (WMF)|talk]]) ০০:০২, ১০ জুলাই ২০২৪ (ইউটিসি)
<!-- https://meta.wikimedia.org/w/index.php?title=Distribution_list/Global_message_delivery&oldid=26989444-এর তালিকা ব্যবহার করে বার্তাটি ব্যবহারকারী:Keegan (WMF)@metawiki পাঠিয়েছেন -->
== বাংলা উইকিসম্মেলন ২০২৪-এর জন্য সেশন জমাদানের আবেদন গ্রহণ শুরু হয়েছে! ==
প্রিয় সুধী,
আনন্দের সাথে জানাচ্ছি যে, উইকিমিডিয়া বাংলাদেশ বাংলা উইকিমিডিয়া সম্প্রদায়ের বহুল প্রতিক্ষিত [[wmbd:বাংলা_উইকিসম্মেলন_২০২৪|বাংলা উইকিসম্মেলন ২০২৪]] আয়োজন করতে যাচ্ছে। এই সম্মেলনটি আগামী ১৮-১৯ অক্টোবর ঢাকার অদূরে গাজীপুরে অনুষ্ঠিত হবে। এই সম্মেলনের প্রতিপাদ্য হলো: '''জ্ঞান । বৈচিত্র্য । সহযোগিতা'''। এই প্রতিপাদ্যগুলো সম্মেলনের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যকে প্রতিফলিত করে।
সম্মেলনের জন্য সেশন জমাদানের আবেদন গ্রহণ শুরু হয়েছে!
আবেদন গ্রহণ শেষ হবে '''৫ আগস্ট ২০২৪, রাত ১১:৫৯''' (ইউটিসি সময়)।
আপনার আবেদন জমা দিতে [https://docs.google.com/forms/d/1HmNDRGmyCM7fgxqf6Kim3Zdxmw_p1kyXdhpgWNlMeWc এখানে ক্লিক করুন]:
আপনার জমা দেওয়া আবেদন [[wmbd:বাংলা উইকিসম্মেলন ২০২৪/আয়োজক/অনুষ্ঠান|অনুষ্ঠান বিন্যাস উপদল]] কর্তৃক কয়েকটি ধাপে যাচাই-বাছাই করা হবে। এরপর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে এবং যাদের সেশন গৃহীত হবে তাদেরকে ইমেইলের মাধ্যমে জানানো হবে।
আপনারা নিম্নলিখিত বিষয়গুলোর উপর সেশন জমা দিতে পারেন:
* প্রেজেন্টেশন
* প্যানেল আলোচনা
* সংক্ষিপ্ত অধিবেশন
* কর্মশালা
* পোস্টার অধিবেশন
* হ্যাকাথন
* আড্ডা
* সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান
বিভিন্ন সেশন বিন্যাস সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্যের জন্য, অনুগ্রহ করে দেখুন: [[:wmbd:বাংলা উইকিসম্মেলন ২০২৪/অনুষ্ঠানসূচি/বিন্যাস|'''এই পাতা''']]
অনুষ্ঠানের বিন্যাস সম্পর্কে কোন প্রশ্ন থাকলে, আলাপ পাতায় বার্তা রাখুন অথবা bnwikiconference@wikimedia.org.bd ঠিকানায় ইমেইল করুন।
অনুষ্ঠান বিন্যাস উপদলের পক্ষে, [[User:ZI Jony|<span style="color:#8B0000">'''''জনি'''''</span>]], ২০:০২, ১৫ জুলাই ২০২৪ (ইউটিসি)
<!-- https://meta.wikimedia.org/w/index.php?title=User:ZI_Jony/Bangla_WikiConference/List&oldid=27116076-এর তালিকা ব্যবহার করে বার্তাটি ব্যবহারকারী:ZI Jony@metawiki পাঠিয়েছেন -->
== <span lang="en" dir="ltr" class="mw-content-ltr">Wikimedia Movement Charter ratification voting results</span> ==
<div lang="en" dir="ltr" class="mw-content-ltr">
<section begin="announcement-content" />
:''[[m:Special:MyLanguage/Movement Charter/Drafting Committee/Announcement - Results of the ratification vote|You can find this message translated into additional languages on Meta-wiki.]] [https://meta.wikimedia.org/w/index.php?title=Special:Translate&group=page-{{urlencode:Movement Charter/Drafting Committee/Announcement - Results of the ratification vote}}&language=&action=page&filter= {{int:please-translate}}]''
Hello everyone,
After carefully tallying both individual and affiliate votes, the [[m:Special:MyLanguage/Movement Charter/Ratification/Voting#Electoral Commission|Charter Electoral Commission]] is pleased to announce the final results of the Wikimedia Movement Charter voting.
As [[m:Special:MyLanguage/Talk:Movement Charter#Thank you for your participation in the Movement Charter ratification vote!|communicated]] by the Charter Electoral Commission, we reached the quorum for both Affiliate and individual votes by the time the vote closed on '''July 9, 23:59 UTC'''. We thank all 2,451 individuals and 129 Affiliate representatives who voted in the ratification process. Your votes and comments are invaluable for the future steps in Movement Strategy.
The final results of the [[m:Special:MyLanguage/Movement Charter|Wikimedia Movement Charter]] ratification voting held between 25 June and 9 July 2024 are as follows:
'''Individual vote:'''
Out of 2,451 individuals who voted as of July 9 23:59 (UTC), 2,446 have been accepted as valid votes. Among these, '''1,710''' voted “yes”; '''623''' voted “no”; and '''113''' selected “–” (neutral). Because the neutral votes don’t count towards the total number of votes cast, 73.30% voted to approve the Charter (1710/2333), while 26.70% voted to reject the Charter (623/2333).
'''Affiliates vote:'''
Out of 129 Affiliates designated voters who voted as of July 9 23:59 (UTC), 129 votes are confirmed as valid votes. Among these, '''93''' voted “yes”; '''18''' voted “no”; and '''18''' selected “–” (neutral). Because the neutral votes don’t count towards the total number of votes cast, 83.78% voted to approve the Charter (93/111), while 16.22% voted to reject the Charter (18/111).
'''Board of Trustees of the Wikimedia Foundation:'''
The Wikimedia Foundation Board of Trustees voted '''not to ratify''' the proposed Charter during their special Board meeting on July 8, 2024. The Chair of the Wikimedia Foundation Board of Trustees, Nataliia Tymkiv, [[m:Special:MyLanguage/Wikimedia_Foundation_Board_noticeboard/Board_resolution_and_vote_on_the_proposed_Movement_Charter|shared the result of the vote, the resolution, meeting minutes and proposed next steps]].
With this, the Wikimedia Movement Charter in its current revision is '''not ratified'''.
We thank you for your participation in this important moment in our movement’s governance.
The Charter Electoral Commission,
[[m:User:Abhinav619|Abhinav619]], [[m:User:Borschts|Borschts]], [[m:User:Iwuala Lucy|Iwuala Lucy]], [[m:User:Tochiprecious|Tochiprecious]], [[m:User:Der-Wir-Ing|Der-Wir-Ing]]<section end="announcement-content" />
</div>
[[ব্যবহারকারী:MediaWiki message delivery|MediaWiki message delivery]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:MediaWiki message delivery|আলাপ]]) ১৭:৫১, ১৮ জুলাই ২০২৪ (ইউটিসি)
<!-- https://meta.wikimedia.org/w/index.php?title=Distribution_list/Global_message_delivery&oldid=26989444-এর তালিকা ব্যবহার করে বার্তাটি ব্যবহারকারী:RamzyM (WMF)@metawiki পাঠিয়েছেন -->
== <span lang="en" dir="ltr" class="mw-content-ltr">Vote now to fill vacancies of the first U4C</span> ==
<div lang="en" dir="ltr" class="mw-content-ltr">
<section begin="announcement-content" />
:''[[m:Special:MyLanguage/Universal Code of Conduct/Coordinating Committee/Election/2024 Special Election/Announcement – voting opens|You can find this message translated into additional languages on Meta-wiki.]] [https://meta.wikimedia.org/w/index.php?title=Special:Translate&group=page-{{urlencode:Universal Code of Conduct/Coordinating Committee/Election/2024 Special Election/Announcement – voting opens}}&language=&action=page&filter= {{int:please-translate}}]''
Dear all,
I am writing to you to let you know the voting period for the Universal Code of Conduct Coordinating Committee (U4C) is open now through '''August 10, 2024'''. Read the information on the [[m:Special:MyLanguage/Universal Code of Conduct/Coordinating Committee/Election/2024 Special Election|voting page on Meta-wiki]] to learn more about voting and voter eligibility.
The Universal Code of Conduct Coordinating Committee (U4C) is a global group dedicated to providing an equitable and consistent implementation of the UCoC. Community members were invited to submit their applications for the U4C. For more information and the responsibilities of the U4C, please [[m:Special:MyLanguage/Universal Code of Conduct/Coordinating Committee/Charter|review the U4C Charter]].
Please share this message with members of your community so they can participate as well.
In cooperation with the U4C,<section end="announcement-content" />
</div>
[[m:User:RamzyM (WMF)|RamzyM (WMF)]] ০২:৪৬, ২৭ জুলাই ২০২৪ (ইউটিসি)
<!-- https://meta.wikimedia.org/w/index.php?title=Distribution_list/Global_message_delivery&oldid=26989444-এর তালিকা ব্যবহার করে বার্তাটি ব্যবহারকারী:RamzyM (WMF)@metawiki পাঠিয়েছেন -->
== বাংলাদেশে অবস্থানরত উইকিমিডিয়ানদের জন্য বাংলা উইকিসম্মেলনে অংশগ্রহণের বৃত্তির আবেদনের সময়সীমা বৃদ্ধি করা হয়েছে ==
সুপ্রিয় সুধী,
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বৃত্তি নির্ধারণী উপদল শুধুমাত্র ভৌগলিকভাবে বাংলাদেশে অবস্থানরত উইকিমিডিয়ানদের জন্য বাংলা উইকিসম্মেলনে অংশগ্রহণের বৃত্তির আবেদনের সময়সীমা বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নতুন সময়সীমা অনুযায়ী বাংলাদেশে অবস্থানরত উইকিমিডিয়ানগণ আগামী '''৭ আগস্ট''' পর্যন্ত বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। নতুন সময়সীমা পূর্বে প্রকাশিত [[wmbd:বাংলা_উইকিসম্মেলন_২০২৪/বৃত্তি#%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%96%E0%A6%BE|বৃত্তির আবেদন পর্যালোচনা প্রক্রিয়ার সময়রেখায়]] কোনো প্রভাব ফেলবে না। বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে, ৩১ জুলাইয়ের পর কোনোভাবেই বাংলাদেশের বাইরে থেকে আসা কোনো বৃত্তির আবেদন বিবেচনায় নেওয়া হবে না।
বৃত্তির জন্য আবেদন করতে [https://docs.google.com/forms/d/e/1FAIpQLSfCEqY3lwPpBx7JPYTyYtyi4MEPYf2M6qkH6ohbfvs9i7ZvgA/viewform এখানে ক্লিক করুন]।
বিস্তারিত তথ্যের জন্য ভিজিট করুন: https://w.wiki/AWeV
বৃত্তি সম্পর্কিত কোন জিজ্ঞাসা থাকলে [[wmbd:আলাপ:বাংলা_উইকিসম্মেলন_২০২৪/বৃত্তি|আলাপ পাতা]] অথবা [mailto:bnwikiconference@wikimedia.org.bd bnwikiconference@wikimedia.org.bd] ঠিকানায় ইমেইল করার মাধ্যমে করতে পারেন।
বৃত্তি নির্ধারণী উপদলের পক্ষে, —[[ব্যবহারকারী:MdsShakil|শাকিল]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:MdsShakil|আলাপ]]) ১৫:০০, ৩১ জুলাই ২০২৪ (ইউটিসি)
== বাংলা উইকিসম্মেলন ২০২৪-এর জন্য সেশন জমাদান আবেদনের সময়সীমা বৃদ্ধি করা হয়েছে ==
প্রিয় সবাই,
আশা করি নিরাপদ ও সুস্থ আছেন। কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি ও ইন্টারনেট শাটডাউন বিবেচনায় ৩ আগস্ট শনিবার অনুষ্ঠান বিন্যাস উপদলের সাপ্তাহিক বৈঠকে [[wmbd:বাংলা_উইকিসম্মেলন_২০২৪|বাংলা উইকিসম্মেলন ২০২৪]]-এর জন্য সেশন জমাদানের আবেদনের সময়সীমা আগামী '''১৫ আগস্ট ২০২৪, রাত ১১:৫৯''' (ইউটিসি সময়) পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে! এই সম্মেলনটি আগামী ১৮-১৯ অক্টোবর ঢাকার অদূরে গাজীপুরে অনুষ্ঠিত হবে। এই সম্মেলনের প্রতিপাদ্য হলো: '''জ্ঞান । বৈচিত্র্য । সহযোগিতা'''। এই প্রতিপাদ্যগুলো সম্মেলনের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যকে প্রতিফলিত করে।
আপনার আবেদন জমা দিতে [https://docs.google.com/forms/d/1HmNDRGmyCM7fgxqf6Kim3Zdxmw_p1kyXdhpgWNlMeWc এখানে ক্লিক করুন]
আপনার জমা দেওয়া আবেদন [[wmbd:বাংলা উইকিসম্মেলন ২০২৪/আয়োজক/অনুষ্ঠান|অনুষ্ঠান বিন্যাস উপদল]] কর্তৃক কয়েকটি ধাপে যাচাই-বাছাই করা হবে। এরপর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে এবং যাদের সেশন গৃহীত হবে তাদেরকে ইমেইলের মাধ্যমে জানানো হবে।
আপনারা নিম্নলিখিত বিষয়গুলোর উপর সেশন জমা দিতে পারেন:
* প্রেজেন্টেশন
* প্যানেল আলোচনা
* সংক্ষিপ্ত অধিবেশন
* কর্মশালা
* পোস্টার অধিবেশন
* হ্যাকাথন
* আড্ডা
* সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান
বিভিন্ন সেশন বিন্যাস সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্যের জন্য, অনুগ্রহ করে দেখুন: [[:wmbd:বাংলা উইকিসম্মেলন ২০২৪/অনুষ্ঠানসূচি/বিন্যাস|'''এই পাতা''']]
অনুষ্ঠানের বিন্যাস সম্পর্কে কোন প্রশ্ন থাকলে, আলাপ পাতায় বার্তা রাখুন অথবা bnwikiconference@wikimedia.org.bd ঠিকানায় ইমেইল করুন।
'''বিশেষ দ্রষ্টব্য:''' অসম্পূর্ণ এবং অপ্রাসঙ্গিক (উইকির সাথে একেবারেই সম্পর্ক নেই) সেশনের আবেদন বাতিল বলে গণ্য হবে।
অনুষ্ঠান বিন্যাস উপদলের পক্ষে, [[User:ZI Jony|<span style="color:#8B0000">'''''জনি'''''</span>]], ১৬:০৫, ৪ আগস্ট ২০২৪ (ইউটিসি)
<!-- https://meta.wikimedia.org/w/index.php?title=User:ZI_Jony/Bangla_WikiConference/List&oldid=27116076-এর তালিকা ব্যবহার করে বার্তাটি ব্যবহারকারী:ZI Jony@metawiki পাঠিয়েছেন -->
== <span lang="en" dir="ltr" class="mw-content-ltr">Reminder! Vote closing soon to fill vacancies of the first U4C</span> ==
<div lang="en" dir="ltr" class="mw-content-ltr">
<section begin="announcement-content" />
:''[[m:Special:MyLanguage/Universal Code of Conduct/Coordinating Committee/Election/2024 Special Election/Announcement – reminder to vote|You can find this message translated into additional languages on Meta-wiki.]] [https://meta.wikimedia.org/w/index.php?title=Special:Translate&group=page-{{urlencode:Universal Code of Conduct/Coordinating Committee/Election/2024 Special Election/Announcement – reminder to vote}}&language=&action=page&filter= {{int:please-translate}}]''
Dear all,
The voting period for the Universal Code of Conduct Coordinating Committee (U4C) is closing soon. It is open through 10 August 2024. Read the information on [[m:Special:MyLanguage/Universal_Code_of_Conduct/Coordinating_Committee/Election/2024_Special_Election#Voting|the voting page on Meta-wiki to learn more about voting and voter eligibility]]. If you are eligible to vote and have not voted in this special election, it is important that you vote now.
'''Why should you vote?''' The U4C is a global group dedicated to providing an equitable and consistent implementation of the UCoC. Community input into the committee membership is critical to the success of the UCoC.
Please share this message with members of your community so they can participate as well.
In cooperation with the U4C,<section end="announcement-content" />
</div>
-- [[m:User:Keegan (WMF)|Keegan (WMF)]] ([[m:User talk:Keegan (WMF)|talk]]) ১৫:২৯, ৬ আগস্ট ২০২৪ (ইউটিসি)
<!-- https://meta.wikimedia.org/w/index.php?title=Distribution_list/Global_message_delivery&oldid=27183190-এর তালিকা ব্যবহার করে বার্তাটি ব্যবহারকারী:Keegan (WMF)@metawiki পাঠিয়েছেন -->
== নতুন উইকিবই ==
আমি বাংলা উইকিবই প্রকল্পে নতুন হলেও ইংরেজি উইকিবই প্রকল্পে একাধিক জায়গায় অবদান রেখেছি। সেই অভিজ্ঞতা থেকে আমি বাংলা ভাষায় কম্পিউটার বিজ্ঞান বিষয়ক একটি মৌলিক উইকিবই লিখছি, যার নাম [[সি প্রোগ্রামিং ভাষায় উপাত্ত সংগঠন]]। মহাবিদ্যালয় বা কলেজে কম্পিউটার বিজ্ঞান বিষয়ক পড়াশুনা থেকে আমি এই বই লিখছি। [[ব্যবহারকারী:Sbb1413|Sbb1413]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:Sbb1413|আলাপ]]) ১০:১৮, ১৫ আগস্ট ২০২৪ (ইউটিসি)
== শীঘ্রই আসছে: উপ-তথ্যসূত্র যুক্ত করার নতুন একটি সুবিধা - ব্যবহার করে দেখুন! ==
<section begin="Sub-referencing"/>
[[File:Sub-referencing reuse visual.png|{{#ifeq:{{#dir}}|ltr|right|left}}|400px]]
হ্যালো! বহু বছর ধরে, সম্প্রদায়ের সদস্যরা পৃথক বিবরণ সহ একই তথ্যসূত্রের পুনঃব্যবহারের একটি সহজ উপায় তৈরির অনুরোধ করেছেন। এখন, এর একটি মিডিয়াউইকি সমাধান আসছে: নতুন এই উপ-তথ্যসূত্র যুক্তকরণ সুবিধাটি উইকিপাঠ্য এবং দৃশ্যমান সম্পাদনায় কাজ করবে এবং বিদ্যমান উপ-তথ্যসূত্র যুক্তকরণ সিস্টেমকে আরও উন্নত করবে। আপনি তথ্যসূত্র যুক্ত করার অন্য উপায়গুলো ব্যবহার করা চালিয়ে যেতে পারেন, তবে সম্ভবত খুব তাড়াতাড়িই আপনার নজরে পড়বে যে অন্যান্য ব্যবহারকারীরা নিবন্ধে উপ-তথ্যসূত্র ব্যবহার করছে। [[m:Special:MyLanguage/WMDE Technical Wishes/Sub-referencing|প্রকল্প পাতা]] থেকে এই বিষয়ে আরও তথ্য জানতে পারবেন।
এই সুবিধাটি আপনার জন্য ভালোভাবে কাজ করছে কিনা তা নিশ্চিত করতে '''আমরা আপনার প্রতিক্রিয়া চাই''':
* অনুগ্রহ করে বেটা উইকিতে বর্তমান উন্নয়নশীল অবস্থায় সুবিধাটি [[m:Special:MyLanguage/WMDE Technical Wishes/Sub-referencing#Test|ব্যবহার করে দেখুন]] এবং [[m:Talk:WMDE Technical Wishes/Sub-referencing|আপনার মতামত জানান]]।
* নিয়মিত হালনাগাদ পেতে এবং/অথবা ব্যবহারকারী গবেষণা কার্যক্রমে অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ পেতে এখানে [[m:WMDE Technical Wishes/Sub-referencing/Sign-up|নিবন্ধন করুন]] ।
[[m:Special:MyLanguage/Wikimedia Deutschland|উইকিমিডিয়া জার্মানির]] [[m:Special:MyLanguage/WMDE Technical Wishes|প্রাযুক্তিক ইচ্ছে]] দল এই বছরের শেষের দিকে উইকিমিডিয়া উইকিগুলোতে এই বৈশিষ্ট্যটি আনার পরিকল্পনা করছে। আমরা এর আগেই তথ্যসূত্র সম্পর্কিত সরঞ্জাম এবং টেমপ্লেটের তৈরিকারক/রক্ষণাবেক্ষণকারীদের সাথে যোগাযোগ করব।
অনুগ্রহক করে বার্তাটি ছড়িয়ে দিতে আমাদেরকে সাহায্য করুন। --[[m:User:Johannes Richter (WMDE)|Johannes Richter (WMDE)]] ([[m:User talk:Johannes Richter (WMDE)|talk]]) 10:36, 19 August 2024 (UTC)
<section end="Sub-referencing"/>
<!-- https://meta.wikimedia.org/w/index.php?title=User:Johannes_Richter_(WMDE)/Sub-referencing/massmessage_list&oldid=27309345-এর তালিকা ব্যবহার করে বার্তাটি ব্যবহারকারী:Johannes Richter (WMDE)@metawiki পাঠিয়েছেন -->
== Sign up for the language community meeting on August 30th, 15:00 UTC ==
Hi all,
The next language community meeting is scheduled in a few weeks—on August 30th at 15:00 UTC. If you're interested in joining, you can [https://www.mediawiki.org/wiki/Wikimedia_Language_and_Product_Localization/Community_meetings#30_August_2024 sign up on this wiki page].
This participant-driven meeting will focus on sharing language-specific updates related to various projects, discussing technical issues related to language wikis, and working together to find possible solutions. For example, in the last meeting, topics included the Language Converter, the state of language research, updates on the Incubator conversations, and technical challenges around external links not working with special characters on Bengali sites.
Do you have any ideas for topics to share technical updates or discuss challenges? Please add agenda items to the document [https://etherpad.wikimedia.org/p/language-community-meeting-aug-2024 here] and reach out to ssethi(__AT__)wikimedia.org. We look forward to your participation!
[[ব্যবহারকারী:MediaWiki message delivery|MediaWiki message delivery]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:MediaWiki message delivery|আলাপ]]) ২৩:১৮, ২২ আগস্ট ২০২৪ (ইউটিসি)
<!-- https://meta.wikimedia.org/w/index.php?title=Distribution_list/Global_message_delivery&oldid=27183190-এর তালিকা ব্যবহার করে বার্তাটি ব্যবহারকারী:SSethi (WMF)@metawiki পাঠিয়েছেন -->
== উইকিবইয়ে প্রথম নিবন্ধ তৈরি করেছি ==
[[রন্ধনপ্রণালী:তালের বড়া]] এটি আমার তৈরি উইকিবইয়ে প্রথম নিবন্ধ। যাচাই করে দেখার অনুরোধ জানাচ্ছি। [[ব্যবহারকারী:মোঃ সাকিবুল হাসান|মোঃ সাকিবুল হাসান]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:মোঃ সাকিবুল হাসান|আলাপ]]) ১৬:৫১, ২৫ আগস্ট ২০২৪ (ইউটিসি)
== <span lang="en" dir="ltr">Announcing the Universal Code of Conduct Coordinating Committee</span> ==
<div lang="en" dir="ltr">
<section begin="announcement-content" />
:''[https://lists.wikimedia.org/hyperkitty/list/board-elections@lists.wikimedia.org/thread/OKCCN2CANIH2K7DXJOL2GPVDFWL27R7C/ Original message at wikimedia-l]. [[m:Special:MyLanguage/Universal Code of Conduct/Coordinating Committee/Election/2024 Special Election/Announcement - results|You can find this message translated into additional languages on Meta-wiki.]] [https://meta.wikimedia.org/w/index.php?title=Special:Translate&group=page-{{urlencode:Universal Code of Conduct/Coordinating Committee/Election/2024 Special Election/Announcement - results}}&language=&action=page&filter= {{int:please-translate}}]''
Hello all,
The scrutineers have finished reviewing the vote and the [[m:Special:MyLanguage/Elections Committee|Elections Committee]] have certified the [[m:Special:MyLanguage/Universal Code of Conduct/Coordinating Committee/Election/2024 Special Election/Results|results]] for the [[m:Special:MyLanguage/Universal Code of Conduct/Coordinating Committee/Election/2024 Special Election|Universal Code of Conduct Coordinating Committee (U4C) special election]].
I am pleased to announce the following individual as regional members of the U4C, who will fulfill a term until 15 June 2026:
* North America (USA and Canada)
** Ajraddatz
The following seats were not filled during this special election:
* Latin America and Caribbean
* Central and East Europe (CEE)
* Sub-Saharan Africa
* South Asia
* The four remaining Community-At-Large seats
Thank you again to everyone who participated in this process and much appreciation to the candidates for your leadership and dedication to the Wikimedia movement and community.
Over the next few weeks, the U4C will begin meeting and planning the 2024-25 year in supporting the implementation and review of the UCoC and Enforcement Guidelines. You can follow their work on [[m:Special:MyLanguage/Universal Code of Conduct/Coordinating Committee|Meta-Wiki]].
On behalf of the U4C and the Elections Committee,<section end="announcement-content" />
</div>
[[m:User:RamzyM (WMF)|RamzyM (WMF)]] ১৪:০৫, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ (ইউটিসি)
<!-- https://meta.wikimedia.org/w/index.php?title=Distribution_list/Global_message_delivery&oldid=27183190-এর তালিকা ব্যবহার করে বার্তাটি ব্যবহারকারী:RamzyM (WMF)@metawiki পাঠিয়েছেন -->
== আপনার মতামত দিন: ২০২৪ ট্রাস্টি বোর্ডের জন্য ভোট দিন! ==
<section begin="announcement-content" />
সবাইকে স্বাগত,
[[m:Special:MyLanguage/Wikimedia Foundation elections/2024|২০২৪ ট্রাস্টি বোর্ড নির্বাচনের]] ভোটদান শুরু হয়ে গেছে।
বোর্ডে চার (৪)টি আসনের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বারো (১২) জন প্রার্থী৷
প্রার্থীদের [[m:Special:MyLanguage/Wikimedia Foundation elections/2024/Candidates|বিবৃতি পড়ে]] এবং [[m:Special:MyLanguage/Wikimedia_Foundation_elections/2024/Questions_for_candidates|সম্প্রদায়ের প্রশ্নে তাঁদের উত্তর]] শুনে তাঁদের সম্পর্কে আরও জানুন।
আপনি প্রস্তুত থাকলে, ভোট দেওয়ার জন্য [[Special:SecurePoll/vote/400|SecurePoll]] ভোটদান পাতায় যান। '''ভোটদান ৩রা সেপ্টেম্বর ০০:০০ ইউটিসি থেকে ১৭ই সেপ্টেম্বর ২৩:৫৯ ইউটিসি পর্যন্ত খোলা থাকবে'''৷
আপনার ভোটদানের যোগ্যতা যাচাই করতে, অনুগ্রহ করে [[m:Special:MyLanguage/Wikimedia_Foundation_elections/2024/Voter_eligibility_guidelines|ভোটারের যোগ্যতা পাতা]] দেখুন।
শুভেচ্ছান্তে,
নির্বাচন কমিটি এবং বোর্ড নির্বাচন ওয়ার্কিং গ্রুপ<section end="announcement-content" />
[[ব্যবহারকারী:MediaWiki message delivery|MediaWiki message delivery]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:MediaWiki message delivery|আলাপ]]) ১২:১৩, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ (ইউটিসি)
<!-- https://meta.wikimedia.org/w/index.php?title=Distribution_list/Global_message_delivery&oldid=27183190-এর তালিকা ব্যবহার করে বার্তাটি ব্যবহারকারী:RamzyM (WMF)@metawiki পাঠিয়েছেন -->
== নতুন বই ==
যদিও আমি আগস্ট মাস থেকে এই বই লেখা শুরু করেছি, মাঝের সময় অন্যান্য বিষয়ে ব্যস্ত ছিলাম বলে আমি একে বেশি সম্প্রসারণ করতে পারিনি। এখন আমি [[সি প্রোগ্রামিং ভাষায় উপাত্ত সংগঠন]] উইকিবইটি লিখছি, যা আমার সর্বপ্রথম বাংলা উইকিবই। এটি অন্য কোনো উইকিবইয়ের অনুবাদ নয়, আমার নিজস্ব রচনা। অবশ্য এই বইতে যেকেউ সম্পাদনা করতে পারেন, আর সম্পাদনার সময় "ভূমিকা" পাতায় স্বাক্ষর করতে ভুলবেন না। [[ব্যবহারকারী:Sbb1413|Sbb1413]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:Sbb1413|আলাপ]]) ০২:৩৮, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ (ইউটিসি)
== আপনার উইকি শীঘ্রই পঠন মোডে যাবে ==
<section begin="server-switch"/><div class="plainlinks">
[[:m:Special:MyLanguage/Tech/Server switch|এই বার্তাটি অন্য ভাষায় পড়ুন]] • [https://meta.wikimedia.org/w/index.php?title=Special:Translate&group=page-Tech%2FServer+switch&language=&action=page&filter= {{int:please-translate}}]
[[foundation:|উইকিমিডিয়া ফাউন্ডেশন]] তার উপাত্ত কেন্দ্রগুলির মধ্যে ট্রাফিক আনা-নেওয়ার বিষয়টি পরীক্ষা করবে। এটি নিশ্চিত করবে যে উইকিপিডিয়া এবং উইকিমিডিয়ার অন্যান্য উইকিসমূহ এমনকি একটি দুর্যোগের পরেও অনলাইন থাকবে।
সকল ট্রাফিক সুইচ করার তারিখ হলো '''{{#time:j xg|2024-09-25|bn}}'''। পরীক্ষাটি শুরু হবে '''[https://zonestamp.toolforge.org/{{#time:U|2024-09-25T15:00|en}} {{#time:H:i e|2024-09-25T15:00}}]'''-তে (বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় ও পশ্চিমবঙ্গ সময় রাত ৭টা ৩০ মিনিটে)।
দুর্ভাগ্যবশত, [[mw:Special:MyLanguage/Manual:What is MediaWiki?|মিডিয়াউইকির]] কিছু সীমাবদ্ধতার কারণে, এই পরিবর্তনের সময় সব সম্পাদনা অবশ্যই বন্ধ রাখতে হবে। এই ব্যাঘাত ঘটানোর জন্য আমরা ক্ষমাপ্রার্থী, এবং আমরা ভবিষ্যতে এটিকে হ্রাস করার জন্য কাজ করছি।
এই কার্যক্রমটি শুরু হওয়ার ৩০ মিনিট পূর্বে সমস্ত উইকিতে একটি ব্যানার প্রদর্শন করা হবে। এই ব্যানারটি অপারেশন শেষ না হওয়া পর্যন্ত দৃশ্যমান থাকবে।
'''সব উইকিতে অল্প সময়ের জন্য, আপনি সম্পাদনা করতে পারবেন না, তবে আপনি উইকি পড়তে সক্ষম হবেন।'''
*আপনি {{#time:l j xg Y|2024-09-25|bn}}-এ প্রায় এক ঘণ্টা পর্যন্ত সম্পাদনা করতে পারবেন না।
*আপনি যদি এই সময়ে সম্পাদনা করার বা সংরক্ষণ করার চেষ্টা করেন, তাহলে আপনি একটি ত্রুটি বার্তা দেখতে পাবেন। আমরা আশা করি যে কোনও সম্পাদনা এই সময়ের মধ্যে নষ্ট হবে না, কিন্তু আমরা তার নিশ্চয়তা দিতে পারছি না। আপনি যদি ত্রুটি বার্তাটি দেখতে পান, তাহলে অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন যতক্ষণ না সবকিছু স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসছে। এরপর আপনি আপনার সম্পাদনা সংরক্ষণ করতে সক্ষম হবেন। সতর্কতাস্বরূপ, আমরা সুপারিশ করছি যে উক্ত সময়ে আপনি আপনার সম্পাদনার একটি অনুলিপি তৈরি করে রাখুন।
''অন্যান্য প্রভাব'':
*পটভূমির কাজগুলো ধীর হবে এবং কিছু নাও কাজ করতে পারে। লাল লিঙ্কগুলো স্বাভাবিকের মত দ্রুত হালনাগাদ নাও হতে পারে। আপনি যদি একটি নিবন্ধ তৈরি করেন যা ইতিমধ্যে অন্য কোথাও সংযুক্ত আছে, সেক্ষেত্রে লিঙ্ক স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি সময় ধরে লাল থাকবে। কিছু দীর্ঘ চলমান স্ক্রিপ্ট বন্ধ করতে হবে।
* আমরা আশা করি যে কোড হালনাগাদগুলি অন্য সপ্তাহের মতো চলবে। তবে যদি অপারেশনের পর প্রয়োজন হয়, কিছু ক্ষেত্রে কোড হালনাগাদ বন্ধ থাকতে পারে।
* [[mw:Special:MyLanguage/GitLab|গিটল্যাব]] প্রায় ৯০ মিনিটের জন্য অনুপলব্ধ থাকবে।
যদি প্রয়োজন হয় তাহলে এই প্রকল্পটি স্থগিত করা হতে পারে। আপনি [[wikitech:Switch_Datacenter|wikitech.wikimedia.org তে সময়সূচি পড়তে পারেন]]। যেকোনো পরিবর্তন সময়সূচীতে ঘোষণা করা হবে।
'''দয়া করে আপনার সম্প্রদায়কে এই তথ্যটি জানান।'''</div><section end="server-switch"/>
[[User:Trizek_(WMF)|Trizek_(WMF)]], ০৯:৩৬, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ (ইউটিসি)
<!-- https://meta.wikimedia.org/w/index.php?title=Distribution_list/Non-Technical_Village_Pumps_distribution_list&oldid=27248326-এর তালিকা ব্যবহার করে বার্তাটি ব্যবহারকারী:Trizek (WMF)@metawiki পাঠিয়েছেন -->
== 'Wikidata item' link is moving. Find out where... ==
<div lang="en" dir="ltr" class="mw-content-ltr"><i>Apologies for cross-posting in English. Please consider translating this message.</i>{{tracked|T66315}}
Hello everyone, a small change will soon be coming to the user-interface of your Wikimedia project.
The [[d:Q16222597|Wikidata item]] [[w:|sitelink]] currently found under the <span style="color: #54595d;"><u>''General''</u></span> section of the '''Tools''' sidebar menu will move into the <span style="color: #54595d;"><u>''In Other Projects''</u></span> section.
We would like the Wiki communities feedback so please let us know or ask questions on the [[m:Talk:Wikidata_For_Wikimedia_Projects/Projects/Move_Wikidata_item_link|Discussion page]] before we enable the change which can take place October 4 2024, circa 15:00 UTC+2.
More information can be found on [[m:Wikidata_For_Wikimedia_Projects/Projects/Move_Wikidata_item_link|the project page]].<br><br>We welcome your feedback and questions.<br> [[ব্যবহারকারী:MediaWiki message delivery|MediaWiki message delivery]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:MediaWiki message delivery|আলাপ]]) ১৮:৫৮, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ (ইউটিসি)
</div>
<!-- https://meta.wikimedia.org/w/index.php?title=User:Danny_Benjafield_(WMDE)/MassMessage_Test_List&oldid=27524260-এর তালিকা ব্যবহার করে বার্তাটি ব্যবহারকারী:Danny Benjafield (WMDE)@metawiki পাঠিয়েছেন -->
== Invitation to Participate in Wiki Loves Ramadan Community Engagement Survey ==
Dear all,
Apologies for writing in English. Please help to translate in your language.
We are excited to announce the upcoming [[m:Wiki Loves Ramadan|Wiki Loves Ramadan]] event, a global initiative aimed at celebrating Ramadan by enriching Wikipedia and its sister projects with content related to this significant time of year. As we plan to organize this event globally, your insights and experiences are crucial in shaping the best possible participation experience for the community.
To ensure that Wiki Loves Ramadan is engaging, inclusive, and impactful, we kindly invite you to participate in our community engagement survey. Your feedback will help us understand the needs of the community, set the event's focus, and guide our strategies for organizing this global event.
Survey link: https://forms.gle/f66MuzjcPpwzVymu5
Please take a few minutes to share your thoughts. Your input will make a difference!
Thank you for being a part of our journey to make Wiki Loves Ramadan a success.
Warm regards,
User:ZI Jony ০৩:১৯, ৬ অক্টোবর ২০২৪ (ইউটিসি)
Wiki Loves Ramadan Organizing Team
<!-- https://meta.wikimedia.org/w/index.php?title=Distribution_list/Non-Technical_Village_Pumps_distribution_list&oldid=27510935-এর তালিকা ব্যবহার করে বার্তাটি ব্যবহারকারী:ZI Jony@metawiki পাঠিয়েছেন -->
== ২০২৪ সালের উইকিমিডিয়া ফাউন্ডেশন ট্রাস্টি বোর্ড নির্বাচনের প্রাথমিক ফলাফল ==
<section begin="announcement-content" />
সুধী সকল,
[[m:Special:MyLanguage/Wikimedia Foundation elections/2024|২০২৪ সালের উইকিমিডিয়া ফাউন্ডেশন ট্রাস্টি বোর্ড নির্বাচনে]] অংশগ্রহণকারী সকলকে ধন্যবাদ। এইবার 180টির বেশি প্রকল্পের প্রায় 6000 জন সম্প্রদায় সদস্য ভোট দিয়েছেন।
নিম্নলিখিত চার প্রার্থী সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়েছেন:
# [[User:Kritzolina|Christel Steigenberger]]
# [[User:Nadzik|Maciej Artur Nadzikiewicz]]
# [[User:Victoria|Victoria Doronina]]
# [[User:Laurentius|Lorenzo Losa]]
যদিও এই প্রার্থীদের ভোটের ফলের মাধ্যমে স্থান দেওয়া হয়েছে, কিন্তু তাঁদের এখনও ট্রাস্টি বোর্ডে নিয়োগ করার প্রয়োজন আছে। তাদের একটি সফল প্রেক্ষাপট পরীক্ষা পাস করতে হবে এবং উপবিধিতে বর্ণিত যোগ্যতা পূরণ করতে হবে। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে পরবর্তী বোর্ড সভায় নতুন ট্রাস্টি নিয়োগ করা হবে।
[[m:Special:MyLanguage/Wikimedia_Foundation_elections/2024/Results|মেটা-উইকিতে ফলাফল সম্পর্কে আরও জানুন।]]
শুভেচ্ছান্তে,
নির্বাচন কমিটি এবং বোর্ড নির্বাচন ওয়ার্কিং গ্রুপ
<section end="announcement-content" />
[[User:MPossoupe_(WMF)|MPossoupe_(WMF)]] ০৮:২৪, ১৪ অক্টোবর ২০২৪ (ইউটিসি)
<!-- https://meta.wikimedia.org/w/index.php?title=Distribution_list/Global_message_delivery&oldid=27183190-এর তালিকা ব্যবহার করে বার্তাটি ব্যবহারকারী:MPossoupe (WMF)@metawiki পাঠিয়েছেন -->
== আন্দোলনের বেশ কয়েকটি কমিটিতে যোগদানের জন্য স্বেচ্ছাসেবকদের সন্ধান ==
<section begin="announcement-content" />
প্রতি বছর, সাধারণত অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত, আন্দোলনের বেশ কয়েকটি কমিটি নতুন স্বেচ্ছাসেবক খোঁজে।
কমিটিগুলির মেটা-উইকি পাতায় তাদের সম্পর্কে আরও পড়ুন:
* [[m:Special:MyLanguage/Affiliations_Committee/bn|অধিভুক্তি কমিটি (অ্যাফকম)]]
* [[m:Special:MyLanguage/Ombuds_commission/bn|ন্যায়পাল কমিশন (ওসি)]]
* [[m:Special:MyLanguage/Wikimedia Foundation/Legal/Community Resilience and Sustainability/Trust and Safety/Case Review Committee|কেস রিভিউ কমিটি (সিআরসি)]]
কমিটির জন্য আবেদন খোলা হবে ১৬ অক্টোবর ২০২৪৷ অধিভুক্তি কমিটির আবেদন গ্রহণ ১৮ নভেম্বর ২০২৪ তারিখে শেষ হবে এবং ন্যায়পাল কমিশন ও কেস রিভিউ কমিটির জন্য আবেদন গ্রহণ ২ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে শেষ হবে। কিভাবে আবেদন করতে হয় তা শিখুন [[m:Special:MyLanguage/Wikimedia_Foundation/Legal/Committee_appointments|মেটা-উইকিতে অ্যাপয়েন্টমেন্ট পাতায় গিয়ে]]। আলাপ পাতায় পোস্ট করুন অথবা আপনার যেকোন প্রশ্ন থাকলে [mailto:cst@wikimedia.org cst@wikimedia.org]-তে ইমেল করুন।
কমিটির সহায়তা দলের পক্ষ থেকে,
<section end="announcement-content" />
-- [[m:User:Keegan (WMF)|Keegan (WMF)]] ([[m:User talk:Keegan (WMF)|talk]]) ২৩:০৭, ১৬ অক্টোবর ২০২৪ (ইউটিসি)
<!-- https://meta.wikimedia.org/w/index.php?title=Distribution_list/Global_message_delivery&oldid=27601062-এর তালিকা ব্যবহার করে বার্তাটি ব্যবহারকারী:Keegan (WMF)@metawiki পাঠিয়েছেন -->
== Announcing Indic Wikimedia Hackathon Bhubaneswar 2024 & scholarship applications ==
Dear Wikimedians,
We hope you are well.
We are thrilled to announce the upcoming [[:metawiki:Indic Wikimedia Hackathon Bhubaneswar 2024|Indic Wikimedia Hackathon Bhubaneswar 2024]], hosted by the [[:metawiki:Indic MediaWiki Developers User Group|Indic MediaWiki Developers UG]] (aka Indic-TechCom) in collaboration with the [[:metawiki:Odia Wikimedians User Group|Odia Wikimedians UG]]. The event will take place in Bhubaneswar during 20-22 December 2024.
Wikimedia hackathons are spaces for developers, designers, content editors, and other community stakeholders to collaborate on building technical solutions that help improve the experience of contributors and consumers of Wikimedia projects. The event is intended for:
* Technical contributors active in the Wikimedia technical ecosystem, which includes developers, maintainers (admins/interface admins), translators, designers, researchers, documentation writers etc.
* Content contributors having in-depth understanding of technical issues in their home Wikimedia projects like Wikipedia, Wikisource, Wiktionary, etc.
* Contributors to any other FOSS community or have participated in Wikimedia events in the past, and would like to get started with contributing to Wikimedia technical spaces.
We encourage you to follow the essential details & updates on Meta-Wiki regarding this event.
Event Meta-Wiki page: https://meta.wikimedia.org/wiki/Indic_Wikimedia_Hackathon_Bhubaneswar_2024
Scholarship application form: [https://docs.google.com/forms/d/e/1FAIpQLSf07lWyPJc6bxOCKl_i2vuMBdWa9EAzMRUej4x1ii3jFjTIaQ/viewform Click here to apply ]
''(Scholarships are available to assist with your attendance, covering travel, accommodation, food, and related expenses.)''
Please read the application guidance on the Meta-Wiki page before applying.
The scholarship application is open until the end of the day 2 November 2024 (Saturday).
If you have any questions, concerns or need any support with the application, please start a discussion on the event talk page or reach out to us contact@indicmediawikidev.org via email.
Best,
[[ব্যবহারকারী:MediaWiki message delivery|MediaWiki message delivery]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:MediaWiki message delivery|আলাপ]]) ০৯:৩৫, ১৯ অক্টোবর ২০২৪ (ইউটিসি)
<!-- https://meta.wikimedia.org/w/index.php?title=Global_message_delivery/Targets/South_Asia_Village_Pumps&oldid=25720607-এর তালিকা ব্যবহার করে বার্তাটি ব্যবহারকারী:KCVelaga@metawiki পাঠিয়েছেন -->
== 'Wikidata item' link is moving, finally. ==
Hello everyone, I previously wrote on the 27th September to advise that the ''Wikidata item'' sitelink will change places in the sidebar menu, moving from the '''General''' section into the '''In Other Projects''' section. The scheduled rollout date of 04.10.2024 was delayed due to a necessary request for Mobile/MinervaNeue skin. I am happy to inform that the global rollout can now proceed and will occur later today, 22.10.2024 at 15:00 UTC-2. [[m:Talk:Wikidata_For_Wikimedia_Projects/Projects/Move_Wikidata_item_link|Please let us know]] if you notice any problems or bugs after this change. There should be no need for null-edits or purging cache for the changes to occur. Kind regards, -[[m:User:Danny Benjafield (WMDE)|Danny Benjafield (WMDE)]] ১১:৩০, ২২ অক্টোবর ২০২৪ (ইউটিসি)
<!-- https://meta.wikimedia.org/w/index.php?title=User:Danny_Benjafield_(WMDE)/MassMessage_Test_List&oldid=27535421-এর তালিকা ব্যবহার করে বার্তাটি ব্যবহারকারী:Danny Benjafield (WMDE)@metawiki পাঠিয়েছেন -->
== Final Reminder: Join us in Making Wiki Loves Ramadan Success ==
Dear all,
We’re thrilled to announce the Wiki Loves Ramadan event, a global initiative to celebrate Ramadan by enhancing Wikipedia and its sister projects with valuable content related to this special time of year. As we organize this event globally, we need your valuable input to make it a memorable experience for the community.
Last Call to Participate in Our Survey: To ensure that Wiki Loves Ramadan is inclusive and impactful, we kindly request you to complete our community engagement survey. Your feedback will shape the event’s focus and guide our organizing strategies to better meet community needs.
* Survey Link: [https://docs.google.com/forms/d/e/1FAIpQLSffN4prPtR5DRSq9nH-t1z8hG3jZFBbySrv32YoxV8KbTwxig/viewform?usp=sf_link Complete the Survey]
* Deadline: November 10, 2024
Please take a few minutes to share your thoughts. Your input will truly make a difference!
'''Volunteer Opportunity''': Join the Wiki Loves Ramadan Team! We’re seeking dedicated volunteers for key team roles essential to the success of this initiative. If you’re interested in volunteer roles, we invite you to apply.
* Application Link: [https://docs.google.com/forms/d/e/1FAIpQLSfXiox_eEDH4yJ0gxVBgtL7jPe41TINAWYtpNp1JHSk8zhdgw/viewform?usp=sf_link Apply Here]
* Application Deadline: October 31, 2024
Explore Open Positions: For a detailed list of roles and their responsibilities, please refer to the position descriptions here: [https://docs.google.com/document/d/1oy0_tilC6kow5GGf6cEuFvdFpekcubCqJlaxkxh-jT4/ Position Descriptions]
Thank you for being part of this journey. We look forward to working together to make Wiki Loves Ramadan a success!
Warm regards,<br>
The Wiki Loves Ramadan Organizing Team ০৫:১১, ২৯ অক্টোবর ২০২৪ (ইউটিসি)
<!-- https://meta.wikimedia.org/w/index.php?title=Distribution_list/Non-Technical_Village_Pumps_distribution_list&oldid=27568454-এর তালিকা ব্যবহার করে বার্তাটি ব্যবহারকারী:ZI Jony@metawiki পাঠিয়েছেন -->
== Sign up for the language community meeting on November 29th, 16:00 UTC ==
Hello everyone,
The next language community meeting is coming up next week, on November 29th, at 16:00 UTC (Zonestamp! For your timezone <https://zonestamp.toolforge.org/1732896000>). If you're interested in joining, you can sign up on this wiki page: <https://www.mediawiki.org/wiki/Wikimedia_Language_and_Product_Localization/Community_meetings#29_November_2024>.
This participant-driven meeting will be organized by the Wikimedia Foundation’s Language Product Localization team and the Language Diversity Hub. There will be presentations on topics like developing language keyboards, the creation of the Moore Wikipedia, and the language support track at Wiki Indaba. We will also have members from the Wayuunaiki community joining us to share their experiences with the Incubator and as a new community within our movement. This meeting will have a Spanish interpretation.
Looking forward to seeing you at the language community meeting! Cheers, [[User:SSethi (WMF)|Srishti]] ১৯:৫৩, ২১ নভেম্বর ২০২৪ (ইউটিসি)
<!-- https://meta.wikimedia.org/w/index.php?title=Distribution_list/Global_message_delivery&oldid=27746256-এর তালিকা ব্যবহার করে বার্তাটি ব্যবহারকারী:SSethi (WMF)@metawiki পাঠিয়েছেন -->
== [[:m:Expressions of Interest to host Wikimania 2027 in India: Initial conversation|Expressions of Interest to host Wikimania 2027 in India: Initial conversation]] ==
<div lang="en" dir="ltr">
''{{int:please-translate}}''
Dear Wikimedians,
We are excited to '''Initiate the discussions about India’s potential bid to host [[:m:Wikimania 2027|Wikimania 2027]]''', the annual international conference of the Wikimedia movement. This is a call to the community to express interest and share ideas for organizing this flagship event in India.
Having a consortium of a good number of country groups, recognised affiliates, thematic groups or regional leaders primarily from Asia for this purpose will ultimately strengthen our proposal from the region. This is the first step in a collaborative journey. We invite all interested community members to contribute to the discussion, share your thoughts, and help shape the vision for hosting Wikimania 2027 in India.
Your participation will ensure this effort reflects the strength and diversity of the Indian Wikimedia community. Please join the conversation on [[:m:Expressions of Interest to host Wikimania 2027 in India: Initial conversation#Invitation to Join the Conversation|Meta page]] and help make this vision a reality!
Regards,
<br>
[[:m:Wikimedians of Kerala|Wikimedians of Kerala User Group]] and [[:m:Odia Wikimedians User Group|Odia Wikimedians User Group]]
<br>
This message was sent with [[ব্যবহারকারী:MediaWiki message delivery|MediaWiki message delivery]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:MediaWiki message delivery|আলাপ]]) by [[m:User:Gnoeee|Gnoeee]] ([[m:User_talk:Gnoeee|talk]]) ১৫:১৪, ৪ ডিসেম্বর ২০২৪ (ইউটিসি)
</div>
<!-- https://meta.wikimedia.org/w/index.php?title=Global_message_delivery/Targets/Indic_VPs&oldid=27906962-এর তালিকা ব্যবহার করে বার্তাটি ব্যবহারকারী:Gnoeee@metawiki পাঠিয়েছেন -->
== উইকিপত্রিকার যাত্রা: পৌষ ১৪৩১ সংখ্যা ==
সুধী! বাংলা উইকিমিডিয়া প্রকল্পগুলির জন্য উইকিপত্রিকার নতুন সংখ্যা প্রকাশিত হয়েছে। আপনি নিচের তালিকা থেকে পছন্দমত প্রবন্ধগুলি পড়তে পারেন।
<div lang="bn" dir="ltr" class="mw-content-ltr"><div style="-moz-column-count:2; -webkit-column-count:2; column-count:2;">
* সম্পাদকীয়: [[w:উইকিপিডিয়া:উইকিপত্রিকা/পৌষ_১৪৩১/সম্পাদকীয়|উইকিপত্রিকার জন্ম]]
* সাক্ষাৎকার: [[w:উইকিপিডিয়া:উইকিপত্রিকা/পৌষ_১৪৩১/সাক্ষাৎকার|উইকিপিডিয়ার প্রত্যেকটা লাইনই হওয়া উচিত নিরপেক্ষ এবং মানবকল্যাণমুখী]]
* সম্পাদকের মতামত: [[w:উইকিপিডিয়া:উইকিপত্রিকা/পৌষ_১৪৩১/সম্পাদকের_মতামত|সম্পাদকদের কিছু কথা]]
* বিশেষ প্রতিবেদন: [[w:উইকিপিডিয়া:উইকিপত্রিকা/পৌষ_১৪৩১/বিশেষ_প্রতিবেদন|তথ্যসূত্র উন্নয়ন সেশন: যা বলেছি আর যা বলা হয়নি]]
* ভ্রমণ: [[w:উইকিপিডিয়া:উইকিপত্রিকা/পৌষ_১৪৩১/ভ্রমণ|উইকি তারকা সম্মেলন]]
* উইকিপ্রযুক্তি: [[w:উইকিপিডিয়া:উইকিপত্রিকা/পৌষ_১৪৩১/উইকিপ্রযুক্তি|মিডিয়াউইকিতে হরেক রকম উন্নয়ন]]
* উইকিপিডিয়া: [[w:উইকিপিডিয়া:উইকিপত্রিকা/পৌষ_১৪৩১/উইকিপিডিয়া|হাতেকলমে নিরপেক্ষতা: পক্ষপাতপূর্ণ নিবন্ধের সমস্যা ও সমাধান]]
* উইকিমিডিয়া সংবাদ: [[w:উইকিপিডিয়া:উইকিপত্রিকা/পৌষ_১৪৩১/উইকিমিডিয়া_সংবাদ|উইকিপিডিয়ায় শুরু হল গণিত এডিটাথন ২০২৪]]
</div><div class="hlist" style="margin-top:10px; font-size:90%; padding-left:5px; font-family:TiroBangla, Times New Roman, serif;">
* '''[[w:উইকিপিডিয়া:উইকিপত্রিকা|সম্পূর্ণ উইকিপত্রিকা পড়ুন]]'''
* [[w:উইকিপিডিয়া:উইকিপত্রিকা/দেয়ালিকা|দেয়ালিকা]]
* [[w:উইকিপিডিয়া:উইকিপত্রিকা/গ্রাহক_তালিকা|গ্রাহক হোন]]
* [[w:উইকিপিডিয়া:উইকিপত্রিকা/বার্তাকক্ষ/দ্রুত_আরম্ভ|লেখা পাঠান]] (পাঠানোর শেষ তারিখ: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫)</div> </div>
উইকিপত্রিকার সমন্বয়ক দলের পক্ষ থেকে, [[ব্যবহারকারী:খাত্তাব হাসান|খাত্তাব হাসান]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:খাত্তাব হাসান|আলাপ]]) ১৪:৫৫, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪ (ইউটিসি)
== Open Community Call - [[:m:Expressions of Interest to host Wikimania 2027 in India: Initial conversation|Expressions of Interest to host Wikimania 2027 in India]] ==
<div lang="en" dir="ltr">
''{{int:please-translate}}''
Dear Wikimedians,
Happy 2025.. 😊
As you must have seen, members from Wikimedians of Kerala and Odia Wikimedia User Groups initiated preliminary discussions around submitting an Expression of Interest (EoI) to have Wikimania 2027 in India. You can find out more on the [[:m:Expressions of Interest to host Wikimania 2027 in India: Initial conversation|Meta Page]].
Our aim is to seek input and assess the overall community sentiment and thoughts from the Indian community before we proceed further with the steps involved in submitting the formal EOI.
As part of the same, we are hosting an '''open community call regarding India's Expression of Interest (EOI) to host Wikimania 2027'''. This is an opportunity to gather your valuable feedback, opinions, and suggestions to shape a strong and inclusive proposal.
* 📅 Date: Wednesday, January 15th 2025
* ⏰ Time: 7pm-8pm IST
* 📍 Platform: https://meet.google.com/sns-qebp-hck
Your participation is key to ensuring the EOI reflects the collective aspirations and potential of the vibrant South Asian community.
Let’s join together to make this a milestone event for the Wikimedia movement in South Asia.
We look forward to your presence!
<br>
Warm regards,
<br>
[[:m:Wikimedians of Kerala|Wikimedians of Kerala]] and [[:m:Odia Wikimedians User Group|Odia Wikimedians]] User Group's
<br>
This message was sent with [[ব্যবহারকারী:MediaWiki message delivery|MediaWiki message delivery]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:MediaWiki message delivery|আলাপ]]) by [[m:User:Gnoeee|Gnoeee]] ([[m:User_talk:Gnoeee|talk]]) at ০৫:৫৫, ১৪ জানুয়ারি ২০২৫ (ইউটিসি)
</div>
<!-- https://meta.wikimedia.org/w/index.php?title=Global_message_delivery/Targets/Indic_VPs&oldid=28100038-এর তালিকা ব্যবহার করে বার্তাটি ব্যবহারকারী:Gnoeee@metawiki পাঠিয়েছেন -->
== উইকিপত্রিকার নতুন সংখ্যা: মাঘ ১৪৩১ ==
সুধী! বাংলা উইকিমিডিয়া প্রকল্পগুলির জন্য উইকিপত্রিকার নতুন সংখ্যা প্রকাশিত হয়েছে। আপনি নিচের তালিকা থেকে পছন্দমত প্রবন্ধগুলি পড়তে পারেন।
<div lang="bn" dir="ltr" class="mw-content-ltr"><div style="-moz-column-count:2; -webkit-column-count:2; column-count:2;">
* সম্পাদকীয়: [[w:উইকিপিডিয়া:উইকিপত্রিকা/মাঘ_১৪৩১/সম্পাদকীয়|২০২৫ সালের প্রত্যাশা]]
* সাক্ষাৎকার: [[w:উইকিপিডিয়া:উইকিপত্রিকা/মাঘ_১৪৩১/সাক্ষাৎকার|দীর্ঘ যাত্রায় আগ্রহের ক্ষেত্রগুলোর পরিবর্তন লক্ষ্য করেছি]]
* উইকিরস: [[w:উইকিপিডিয়া:উইকিপত্রিকা/মাঘ_১৪৩১/উইকিরস|শীতকালে যেসব কারণে উইকিপিডিয়ায় সম্পাদনা নিষিদ্ধ করা উচিত]]
* সাহিত্য: [[w:উইকিপিডিয়া:উইকিপত্রিকা/মাঘ_১৪৩১/সাহিত্য|উইকিপিডিয়া]]
* সাধারণ: [[w:উইকিপিডিয়া:উইকিপত্রিকা/মাঘ_১৪৩১/সাধারণ|উইকিপিডিয়া, সাধু ভাষা ও চলিত ভাষা]]
* উইকিপিডিয়া: [[w:উইকিপিডিয়া:উইকিপত্রিকা/মাঘ_১৪৩১/উইকিপিডিয়া|বাংলা উইকিপিডিয়ায় ২০২৪ সালের সর্বাধিক পঠিত নিবন্ধসমূহের একটি পর্যালোচনা]]
* উইকিপ্রযুক্তি: [[w:উইকিপিডিয়া:উইকিপত্রিকা/মাঘ_১৪৩১/উইকিপ্রযুক্তি|টেমপ্লেট এবং মডিউল: উইকিপিডিয়ায় শক্তিশালী সরঞ্জাম]]
* পরিসংখ্যান: [[w:উইকিপিডিয়া:উইকিপত্রিকা/মাঘ_১৪৩১/পরিসংখ্যান|উইকিপত্রিকা বার্ষিক পরিসংখ্যান ২০২৪]]
* উইকিমিডিয়া সংবাদ: [[w:উইকিপিডিয়া:উইকিপত্রিকা/মাঘ_১৪৩১/উইকিমিডিয়া_সংবাদ|উইকিপিডিয়া ও উইকিমিডিয়ার নানাবিধ স্বজন-আয়োজন]]
</div><div class="hlist" style="margin-top:10px; font-size:90%; padding-left:5px; font-family:TiroBangla, Times New Roman, serif;">
'''[[w:উইকিপিডিয়া:উইকিপত্রিকা|সম্পূর্ণ উইকিপত্রিকা পড়ুন]]''' '''·''' [[w:উইকিপিডিয়া:উইকিপত্রিকা/দেয়ালিকা|দেয়ালিকা]] '''·''' [[w:উইকিপিডিয়া:উইকিপত্রিকা/গ্রাহক_তালিকা|গ্রাহক হোন]] '''·''' [[w:উইকিপিডিয়া:উইকিপত্রিকা/বার্তাকক্ষ/দ্রুত_আরম্ভ|লেখা পাঠান]] (পরবর্তী মাসের জন্য লেখা পাঠানোর শেষ তারিখ: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫)</div></div> [[ব্যবহারকারী:খাত্তাব হাসান|খাত্তাব হাসান]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:খাত্তাব হাসান|আলাপ]]) ১৪:৫৩, ১৫ জানুয়ারি ২০২৫ (ইউটিসি)
== Launching! Join Us for Wiki Loves Ramadan 2025! ==
Dear All,
We’re happy to announce the launch of [[m:Wiki Loves Ramadan 2025|Wiki Loves Ramadan 2025]], an annual international campaign dedicated to celebrating and preserving Islamic cultures and history through the power of Wikipedia. As an active contributor to the Local Wikipedia, you are specially invited to participate in the launch.
This year’s campaign will be launched for you to join us write, edit, and improve articles that showcase the richness and diversity of Islamic traditions, history, and culture.
* Topic: [[m:Event:Wiki Loves Ramadan 2025 Campaign Launch|Wiki Loves Ramadan 2025 Campaign Launch]]
* When: Jan 19, 2025
* Time: 16:00 Universal Time UTC and runs throughout Ramadan (starting February 25, 2025).
* Join Zoom Meeting: https://us02web.zoom.us/j/88420056597?pwd=NdrpqIhrwAVPeWB8FNb258n7qngqqo.1
* Zoom meeting hosted by [[m:Wikimedia Bangladesh|Wikimedia Bangladesh]]
To get started, visit the [[m:Wiki Loves Ramadan 2025|campaign page]] for details, resources, and guidelines: Wiki Loves Ramadan 2025.
Add [[m:Wiki Loves Ramadan 2025/Participant|your community here]], and organized Wiki Loves Ramadan 2025 in your local language.
Whether you’re a first-time editor or an experienced Wikipedian, your contributions matter. Together, we can ensure Islamic cultures and traditions are well-represented and accessible to all.
Feel free to invite your community and friends too. Kindly reach out if you have any questions or need support as you prepare to participate.
Let’s make Wiki Loves Ramadan 2025 a success!
For the [[m:Wiki Loves Ramadan 2025/Team|International Team]] ১২:০৭, ১৬ জানুয়ারি ২০২৫ (ইউটিসি)
<!-- https://meta.wikimedia.org/w/index.php?title=Distribution_list/Non-Technical_Village_Pumps_distribution_list&oldid=27568454-এর তালিকা ব্যবহার করে বার্তাটি ব্যবহারকারী:ZI Jony@metawiki পাঠিয়েছেন -->
== Universal Code of Conduct annual review: provide your comments on the UCoC and Enforcement Guidelines ==
<div lang="en" dir="ltr" class="mw-content-ltr">
My apologies for writing in English.
{{Int:Please-translate}}.
I am writing to you to let you know the annual review period for the Universal Code of Conduct and Enforcement Guidelines is open now. You can make suggestions for changes through 3 February 2025. This is the first step of several to be taken for the annual review.
[[m:Special:MyLanguage/Universal_Code_of_Conduct/Annual_review|Read more information and find a conversation to join on the UCoC page on Meta]].
The [[m:Special:MyLanguage/Universal_Code_of_Conduct/Coordinating_Committee|Universal Code of Conduct Coordinating Committee]] (U4C) is a global group dedicated to providing an equitable and consistent implementation of the UCoC. This annual review was planned and implemented by the U4C. For more information and the responsibilities of the U4C, [[m:Special:MyLanguage/Universal_Code_of_Conduct/Coordinating_Committee/Charter|you may review the U4C Charter]].
Please share this information with other members in your community wherever else might be appropriate.
-- In cooperation with the U4C, [[m:User:Keegan (WMF)|Keegan (WMF)]] ([[m:User talk:Keegan (WMF)|talk]]) ০১:১০, ২৪ জানুয়ারি ২০২৫ (ইউটিসি)
</div>
<!-- https://meta.wikimedia.org/w/index.php?title=Distribution_list/Global_message_delivery&oldid=27746256-এর তালিকা ব্যবহার করে বার্তাটি ব্যবহারকারী:Keegan (WMF)@metawiki পাঠিয়েছেন -->
==বাংলা উইকিসংযোগ এর জন্য স্বেচ্ছাসেবক আহবান==
সুধীবৃন্দ,
'''বাংলা উইকিসংযোগ''' (ইংরেজি: Bangla WikiConnect) হলো বাংলা ভাষার উইকিপিডিয়ানদের একটি সমন্বিত উদ্যোগ, যার মূল লক্ষ্য বাংলা উইকিমিডিয়া প্রকল্পগুলোতে বিভিন্ন প্রতিযোগিতা ও এডিটাথন আয়োজনে সমন্বয় সাধন করা। প্রতিবছর পৃথক পৃথক আয়োজনের কারণে আয়োজক ও উইকিমিডিয়া ফাউন্ডেশনের ওপর বাড়তি চাপ পড়ে। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা ও প্রতিযোগিতার ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে উইকিমিডিয়া ফাউন্ডেশনের পরামর্শ অনুযায়ী আয়োজকরা একটি বছরব্যাপী পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন।
আমরা আনন্দের সঙ্গে ঘোষণা করছি যে, বাংলা উইকিসংযোগের আওতায় শীঘ্রই বিভিন্ন প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হবে। এর ফলে অংশগ্রহণকারীরা সুসংগঠিত ও কার্যকরভাবে অবদান রাখতে পারবেন এবং প্রতিযোগিতার প্রভাব দীর্ঘমেয়াদি হবে।
আমাদের এই অগ্রযাত্রাকে ত্বরান্বিত করতে আপনিও যুক্ত হোন আমাদের সাথে। নিম্নোক্ত বিভাগে আমরা স্বেচ্ছাসেবক আহ্বান করছি।
* প্রতিযোগিতার আয়োজক ও পর্যালোচক
* প্রতিবেদন, ব্লগ, অন-উইকি নথি লেখা
* ফটোওয়াকে অংশগ্রহণ
* গ্রাফিক্স ডিজাইন
* ভিডিও সম্পাদনা
* টেমপ্লেট, মডিউল উন্নয়ন
* ডিজিটাল মার্কেটিং
আগ্রহী স্বেচ্ছাসেবীদের [https://docs.google.com/forms/d/e/1FAIpQLSebsy-4Dx1sv9eaFuT8jWVhmgKytiPGNt8bmXg238WCEJVmOg/viewform ফর্মটি] পূরণের জন্য উৎসাহিত করা হচ্ছে।
আশা করি, এই উদ্যোগের মাধ্যমে বাংলা উইকিমিডিয়া প্রকল্পসমূহ আরও সমৃদ্ধ হবে এবং অবদানকারীদের জন্য সহায়ক প্ল্যাটফর্ম হিসেবে গড়ে ওঠবে।
পক্ষে <br/>
[[User:RiazACU|রিয়াজ]]<br/>
[[:m:Bangla WikiConnect|বাংলা উইকিসংযোগ]] ০৬:৩২, ৩১ জানুয়ারি ২০২৫ (ইউটিসি)
== Reminder: first part of the annual UCoC review closes soon ==
<div lang="en" dir="ltr" class="mw-content-ltr">
My apologies for writing in English.
{{Int:Please-translate}}.
This is a reminder that the first phase of the annual review period for the Universal Code of Conduct and Enforcement Guidelines will be closing soon. You can make suggestions for changes through [[d:Q614092|the end of day]], 3 February 2025. This is the first step of several to be taken for the annual review.
[[m:Special:MyLanguage/Universal_Code_of_Conduct/Annual_review|Read more information and find a conversation to join on the UCoC page on Meta]]. After review of the feedback, proposals for updated text will be published on Meta in March for another round of community review.
Please share this information with other members in your community wherever else might be appropriate.
-- In cooperation with the U4C, [[m:User:Keegan (WMF)|Keegan (WMF)]] ([[m:User talk:Keegan (WMF)|talk]]) ০০:৪৮, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ (ইউটিসি)
</div>
<!-- https://meta.wikimedia.org/w/index.php?title=Distribution_list/Global_message_delivery&oldid=28198931-এর তালিকা ব্যবহার করে বার্তাটি ব্যবহারকারী:Keegan (WMF)@metawiki পাঠিয়েছেন -->
== উইকিপত্রিকার নতুন সংখ্যা: ফাল্গুন ১৪৩১ ==
সুধী! উইকিপত্রিকার নতুন সংখ্যা প্রকাশিত হয়েছে। আপনি নিচের তালিকা থেকে পছন্দমত প্রবন্ধগুলি পড়তে পারেন।
<div lang="bn" dir="ltr" class="mw-content-ltr"><div style="-moz-column-count:2; -webkit-column-count:2; column-count:2;">
* সম্পাদকীয়: [[:w:bn:উইকিপিডিয়া:উইকিপত্রিকা/ফাল্গুন_১৪৩১/সম্পাদকীয়|উইকিবসন্ত: পর্যালোচনা ও প্রস্তাবনা]]
* সাক্ষাৎকার: [[:w:bn:উইকিপিডিয়া:উইকিপত্রিকা/ফাল্গুন_১৪৩১/সাক্ষাৎকার|উইকিপিডিয়ায় বাংলা ভাষার প্রতি দায়িত্ববোধ থেকে লিখুন]]
* বিশেষ প্রতিবেদন: [[:w:bn:উইকিপিডিয়া:উইকিপত্রিকা/ফাল্গুন_১৪৩১/বিশেষ_প্রতিবেদন|শুদ্ধ বানানে উইকিপিডিয়া]]
* সাধারণ: [[:w:bn:উইকিপিডিয়া:উইকিপত্রিকা/ফাল্গুন_১৪৩১/সাধারণ|প্রজেক্ট ২০২৫ বনাম উইকিপিডিয়া]]
* উইকিপিডিয়া: [[:w:bn:উইকিপিডিয়া:উইকিপত্রিকা/ফাল্গুন_১৪৩১/উইকিপিডিয়া|উইকিপিডিয়ায় নিজেকে রাখুন সুরক্ষিত]]
* পরিসংখ্যান: [[:w:bn:উইকিপিডিয়া:উইকিপত্রিকা/ফাল্গুন_১৪৩১/পরিসংখ্যান|জানুয়ারি টপ টেন]]
* উইকিমিডিয়া সংবাদ: [[:w:bn:উইকিপিডিয়া:উইকিপত্রিকা/ফাল্গুন_১৪৩১/উইকিমিডিয়া_সংবাদ|একুশে পদক পেলেন বাংলা উইকিমিডিয়া সম্প্রদায়ের দুইজন]]
</div>
{{flatlist|style= margin-top:10px; font-size:90%; padding-left:5px; font-family:Kalpurush, TiroBangla, Noto Sans Bengali, Siyam Rupali, Shonar Bangla; |
* '''[[:w:bn:উইকিপিডিয়া:উইকিপত্রিকা|সম্পূর্ণ উইকিপত্রিকা পড়ুন]]'''
* [[:w:bn:উইকিপিডিয়া:উইকিপত্রিকা/দেয়ালিকা|দেয়ালিকা]]
* [[:w:bn:উইকিপিডিয়া:উইকিপত্রিকা/গ্রাহক_তালিকা|আনসাবস্ক্রাইব করুন]]
* [[:w:bn:উইকিপিডিয়া:উইকিপত্রিকা/বার্তাকক্ষ/দ্রুত_আরম্ভ|লেখা পাঠান]] (পাঠানোর শেষ তারিখ: ০৭ মার্চ ২০২৫)}}
-- [[:w:bn:উইকিপিডিয়া:WP/A|উইকিপত্রিকা সম্পাদকদল]]ের পক্ষে,<br /> [[ব্যবহারকারী:খাত্তাব হাসান|খাত্তাব হাসান]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:খাত্তাব হাসান|আলাপ]]) ১৭:০৫, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ (ইউটিসি)
== <span lang="en" dir="ltr"> Upcoming Language Community Meeting (Feb 28th, 14:00 UTC) and Newsletter</span> ==
<div lang="en" dir="ltr">
<section begin="message"/>
Hello everyone!
[[File:WP20Symbols WIKI INCUBATOR.svg|right|frameless|150x150px|alt=An image symbolising multiple languages]]
We’re excited to announce that the next '''Language Community Meeting''' is happening soon, '''February 28th at 14:00 UTC'''! If you’d like to join, simply sign up on the '''[[mw:Wikimedia_Language_and_Product_Localization/Community_meetings#28_February_2025|wiki page]]'''.
This is a participant-driven meeting where we share updates on language-related projects, discuss technical challenges in language wikis, and collaborate on solutions. In our last meeting, we covered topics like developing language keyboards, creating the Moore Wikipedia, and updates from the language support track at Wiki Indaba.
'''Got a topic to share?''' Whether it’s a technical update from your project, a challenge you need help with, or a request for interpretation support, we’d love to hear from you! Feel free to '''reply to this message''' or add agenda items to the document '''[[etherpad:p/language-community-meeting-feb-2025|here]]'''.
Also, we wanted to highlight that the sixth edition of the Language & Internationalization newsletter (January 2025) is available here: [[:mw:Special:MyLanguage/Wikimedia Language and Product Localization/Newsletter/2025/January|Wikimedia Language and Product Localization/Newsletter/2025/January]]. This newsletter provides updates from the October–December 2024 quarter on new feature development, improvements in various language-related technical projects and support efforts, details about community meetings, and ideas for contributing to projects. To stay updated, you can subscribe to the newsletter on its wiki page: [[:mw:Wikimedia Language and Product Localization/Newsletter|Wikimedia Language and Product Localization/Newsletter]].
We look forward to your ideas and participation at the language community meeting, see you there!
<section end="message"/>
</div>
<bdi lang="en" dir="ltr">[[User:MediaWiki message delivery|MediaWiki message delivery]]</bdi> ০৮:২৮, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ (ইউটিসি)
<!-- https://meta.wikimedia.org/w/index.php?title=Distribution_list/Global_message_delivery&oldid=28217779-এর তালিকা ব্যবহার করে বার্তাটি ব্যবহারকারী:SSethi (WMF)@metawiki পাঠিয়েছেন -->
== Universal Code of Conduct annual review: proposed changes are available for comment ==
<div lang="en" dir="ltr" class="mw-content-ltr">
My apologies for writing in English.
{{Int:Please-translate}}.
I am writing to you to let you know that [[m:Special:MyLanguage/Universal_Code_of_Conduct/Annual_review/Proposed_Changes|proposed changes]] to the [[foundation:Special:MyLanguage/Policy:Universal_Code_of_Conduct/Enforcement_guidelines|Universal Code of Conduct (UCoC) Enforcement Guidelines]] and [[m:Special:MyLanguage/Universal_Code_of_Conduct/Coordinating_Committee/Charter|Universal Code of Conduct Coordinating Committee (U4C) Charter]] are open for review. '''[[m:Special:MyLanguage/Universal_Code_of_Conduct/Annual_review/Proposed_Changes|You can provide feedback on suggested changes]]''' through the [[d:Q614092|end of day]] on Tuesday, 18 March 2025. This is the second step in the annual review process, the final step will be community voting on the proposed changes.
[[m:Special:MyLanguage/Universal_Code_of_Conduct/Annual_review|Read more information and find relevant links about the process on the UCoC annual review page on Meta]].
The [[m:Special:MyLanguage/Universal_Code_of_Conduct/Coordinating_Committee|Universal Code of Conduct Coordinating Committee]] (U4C) is a global group dedicated to providing an equitable and consistent implementation of the UCoC. This annual review was planned and implemented by the U4C. For more information and the responsibilities of the U4C, [[m:Special:MyLanguage/Universal_Code_of_Conduct/Coordinating_Committee/Charter|you may review the U4C Charter]].
Please share this information with other members in your community wherever else might be appropriate.
-- In cooperation with the U4C, [[m:User:Keegan (WMF)|Keegan (WMF)]] ১৮:৫০, ৭ মার্চ ২০২৫ (ইউটিসি)
</div>
<!-- https://meta.wikimedia.org/w/index.php?title=Distribution_list/Global_message_delivery&oldid=28307738-এর তালিকা ব্যবহার করে বার্তাটি ব্যবহারকারী:Keegan (WMF)@metawiki পাঠিয়েছেন -->
== উইকিপত্রিকার নতুন সংখ্যা: চৈত্র ১৪৩১ ==
সুপ্রিয়! উইকিপত্রিকার নতুন সংখ্যা প্রকাশিত হয়েছে। আপনি নিচের তালিকা থেকে পছন্দমত প্রবন্ধগুলি পড়তে পারেন।
<div lang="bn" dir="ltr" class="mw-content-ltr"><div style="-moz-column-count:2; -webkit-column-count:2; column-count:2;">
* সম্পাদকীয়: [[w:উইকিপিডিয়া:উইকিপত্রিকা/চৈত্র_১৪৩১/সম্পাদকীয়|ত্যাগের মাসে উইকিপিডিয়ায় অবদান]]
* সাক্ষাৎকার: [[w:উইকিপিডিয়া:উইকিপত্রিকা/চৈত্র_১৪৩১/সাক্ষাৎকার|বাংলা উইকিপিডিয়াকে আরও সমৃদ্ধ করতে হলে আমাদের সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে]]
* বিশেষ প্রতিবেদন: [[w:উইকিপিডিয়া:উইকিপত্রিকা/চৈত্র_১৪৩১/বিশেষ_প্রতিবেদন|বাংলা উইকিসংযোগের উদ্যোগ]]
* পরিসংখ্যান: [[w:উইকিপিডিয়া:উইকিপত্রিকা/চৈত্র_১৪৩১/পরিসংখ্যান|ফেব্রুয়ারির শীর্ষ দশ]]
* উইকিমিডিয়া সংবাদ: [[w:উইকিপিডিয়া:উইকিপত্রিকা/চৈত্র_১৪৩১/উইকিমিডিয়া_সংবাদ|বৈশ্বিকভাবে পরিচালিত হচ্ছে উইকি রমজান ভালোবাসে]]
</div>{{flatlist|style= margin-top:10px; font-size:90%; padding-left:5px; font-family:Kalpurush, TiroBangla, Noto Sans Bengali, Siyam Rupali, Shonar Bangla; |
* '''[[w:উইকিপিডিয়া:উইকিপত্রিকা|সম্পূর্ণ উইকিপত্রিকা পড়ুন]]'''
* [[w:উইকিপিডিয়া:উইকিপত্রিকা/দেয়ালিকা|দেয়ালিকা]]
* [[w:উইকিপিডিয়া:উইকিপত্রিকা/গ্রাহক_তালিকা|আনসাবস্ক্রাইব করুন]]
* [[w:উইকিপিডিয়া:উইকিপত্রিকা/বার্তাকক্ষ/দ্রুত_আরম্ভ|লেখা পাঠান]] (পাঠানোর শেষ তারিখ: ১৩ এপ্রিল ২০২৫)}}</div>
[[w:উইকিপিডিয়া:উইকিপত্রিকা/বৃত্তান্ত|উইকিপত্রিকা সম্পাদকদলের]] পক্ষে, [[ব্যবহারকারী:খাত্তাব হাসান|খাত্তাব হাসান]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:খাত্তাব হাসান|আলাপ]]) ১৬:২৫, ৮ মার্চ ২০২৫ (ইউটিসি)
== আপনার উইকি শীঘ্রই পঠন মোডে যাবে ==
<section begin="server-switch"/><div class="plainlinks">
[[:m:Special:MyLanguage/Tech/Server switch|এই বার্তাটি অন্য ভাষায় পড়ুন]] • [https://meta.wikimedia.org/w/index.php?title=Special:Translate&group=page-Tech%2FServer+switch&language=&action=page&filter= {{int:please-translate}}]
[[foundation:|উইকিমিডিয়া ফাউন্ডেশন]] তার উপাত্ত কেন্দ্রগুলির মধ্যে ট্রাফিক আনা-নেওয়ার বিষয়টি পরীক্ষা করবে। এটি নিশ্চিত করবে যে উইকিপিডিয়া এবং উইকিমিডিয়ার অন্যান্য উইকিসমূহ এমনকি একটি দুর্যোগের পরেও অনলাইন থাকবে।
সকল ট্রাফিক সুইচ করার তারিখ হলো '''{{#time:j xg|2025-03-19|bn}}'''। পরীক্ষাটি শুরু হবে '''[https://zonestamp.toolforge.org/{{#time:U|2025-03-19T14:00|en}} {{#time:H:i e|2025-03-19T14:00}}]'''-তে (বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় ও পশ্চিমবঙ্গ সময় রাত ৭টা ৩০ মিনিটে)।
দুর্ভাগ্যবশত, [[mw:Special:MyLanguage/Manual:What is MediaWiki?|মিডিয়াউইকির]] কিছু সীমাবদ্ধতার কারণে, এই পরিবর্তনের সময় সব সম্পাদনা অবশ্যই বন্ধ রাখতে হবে। এই ব্যাঘাত ঘটানোর জন্য আমরা ক্ষমাপ্রার্থী, এবং আমরা ভবিষ্যতে এটিকে হ্রাস করার জন্য কাজ করছি।
এই কার্যক্রমটি শুরু হওয়ার ৩০ মিনিট পূর্বে সমস্ত উইকিতে একটি ব্যানার প্রদর্শন করা হবে। এই ব্যানারটি অপারেশন শেষ না হওয়া পর্যন্ত দৃশ্যমান থাকবে।
'''সব উইকিতে অল্প সময়ের জন্য, আপনি সম্পাদনা করতে পারবেন না, তবে আপনি উইকি পড়তে সক্ষম হবেন।'''
*আপনি {{#time:l j xg Y|2025-03-19|bn}}-এ প্রায় এক ঘণ্টা পর্যন্ত সম্পাদনা করতে পারবেন না।
*আপনি যদি এই সময়ে সম্পাদনা করার বা সংরক্ষণ করার চেষ্টা করেন, তাহলে আপনি একটি ত্রুটি বার্তা দেখতে পাবেন। আমরা আশা করি যে কোনও সম্পাদনা এই সময়ের মধ্যে নষ্ট হবে না, কিন্তু আমরা তার নিশ্চয়তা দিতে পারছি না। আপনি যদি ত্রুটি বার্তাটি দেখতে পান, তাহলে অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন যতক্ষণ না সবকিছু স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসছে। এরপর আপনি আপনার সম্পাদনা সংরক্ষণ করতে সক্ষম হবেন। সতর্কতাস্বরূপ, আমরা সুপারিশ করছি যে উক্ত সময়ে আপনি আপনার সম্পাদনার একটি অনুলিপি তৈরি করে রাখুন।
''অন্যান্য প্রভাব'':
*পটভূমির কাজগুলো ধীর হবে এবং কিছু নাও কাজ করতে পারে। লাল লিঙ্কগুলো স্বাভাবিকের মত দ্রুত হালনাগাদ নাও হতে পারে। আপনি যদি একটি নিবন্ধ তৈরি করেন যা ইতিমধ্যে অন্য কোথাও সংযুক্ত আছে, সেক্ষেত্রে লিঙ্ক স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি সময় ধরে লাল থাকবে। কিছু দীর্ঘ চলমান স্ক্রিপ্ট বন্ধ করতে হবে।
* আমরা আশা করি যে কোড হালনাগাদগুলি অন্য সপ্তাহের মতো চলবে। তবে যদি অপারেশনের পর প্রয়োজন হয়, কিছু ক্ষেত্রে কোড হালনাগাদ বন্ধ থাকতে পারে।
* [[mw:Special:MyLanguage/GitLab|গিটল্যাব]] প্রায় ৯০ মিনিটের জন্য অনুপলব্ধ থাকবে।
যদি প্রয়োজন হয় তাহলে এই প্রকল্পটি স্থগিত করা হতে পারে। আপনি [[wikitech:Switch_Datacenter|wikitech.wikimedia.org তে সময়সূচি পড়তে পারেন]]। যেকোনো পরিবর্তন সময়সূচীতে ঘোষণা করা হবে।
'''দয়া করে আপনার সম্প্রদায়কে এই তথ্যটি জানান।'''</div><section end="server-switch"/>
<bdi lang="en" dir="ltr">[[User:MediaWiki message delivery|MediaWiki message delivery]]</bdi> ২৩:১৫, ১৪ মার্চ ২০২৫ (ইউটিসি)
<!-- https://meta.wikimedia.org/w/index.php?title=Distribution_list/Non-Technical_Village_Pumps_distribution_list&oldid=28307742-এর তালিকা ব্যবহার করে বার্তাটি ব্যবহারকারী:Quiddity (WMF)@metawiki পাঠিয়েছেন -->
== Final proposed modifications to the Universal Code of Conduct Enforcement Guidelines and U4C Charter now posted ==
<div lang="en" dir="ltr" class="mw-content-ltr">
The proposed modifications to the [[foundation:Special:MyLanguage/Policy:Universal_Code_of_Conduct/Enforcement_guidelines|Universal Code of Conduct Enforcement Guidelines]] and the U4C Charter [[m:Universal_Code_of_Conduct/Annual_review/2025/Proposed_Changes|are now on Meta-wiki for community notice]] in advance of the voting period. This final draft was developed from the previous two rounds of community review. Community members will be able to vote on these modifications starting on 17 April 2025. The vote will close on 1 May 2025, and results will be announced no later than 12 May 2025. The U4C election period, starting with a call for candidates, will open immediately following the announcement of the review results. More information will be posted on [[m:Special:MyLanguage//Universal_Code_of_Conduct/Coordinating_Committee/Election|the wiki page for the election]] soon.
Please be advised that this process will require more messages to be sent here over the next two months.
The [[m:Special:MyLanguage/Universal_Code_of_Conduct/Coordinating_Committee|Universal Code of Conduct Coordinating Committee (U4C)]] is a global group dedicated to providing an equitable and consistent implementation of the UCoC. This annual review was planned and implemented by the U4C. For more information and the responsibilities of the U4C, you may [[m:Special:MyLanguage/Universal_Code_of_Conduct/Coordinating_Committee/Charter|review the U4C Charter]].
Please share this message with members of your community so they can participate as well.
-- In cooperation with the U4C, [[m:User:Keegan (WMF)|Keegan (WMF)]] ([[m:User_talk:Keegan (WMF)|talk]]) ০২:০৪, ৪ এপ্রিল ২০২৫ (ইউটিসি)
</div>
<!-- https://meta.wikimedia.org/w/index.php?title=Distribution_list/Global_message_delivery&oldid=28469465-এর তালিকা ব্যবহার করে বার্তাটি ব্যবহারকারী:Keegan (WMF)@metawiki পাঠিয়েছেন -->
== Wikidata and Sister Projects: An online community event ==
''(Apologies for posting in English)''
Hello everyone, I am excited to share news of an upcoming online event called '''[[d:Event:Wikidata_and_Sister_Projects|Wikidata and Sister Projects]]''' celebrating the different ways Wikidata can be used to support or enhance with another Wikimedia project. The event takes place over 4 days between '''May 29 - June 1st, 2025'''.
We would like to invite speakers to present at this community event, to hear success stories, challenges, showcase tools or projects you may be working on, where Wikidata has been involved in Wikipedia, Commons, WikiSource and all other WM projects.
If you are interested in attending, please [[d:Special:RegisterForEvent/1291|register here]].
If you would like to speak at the event, please fill out this Session Proposal template on the [[d:Event_talk:Wikidata_and_Sister_Projects|event talk page]], where you can also ask any questions you may have.
I hope to see you at the event, in the audience or as a speaker, - [[ব্যবহারকারী:MediaWiki message delivery|MediaWiki message delivery]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:MediaWiki message delivery|আলাপ]]) ০৯:১৮, ১১ এপ্রিল ২০২৫ (ইউটিসি)
<!-- https://meta.wikimedia.org/w/index.php?title=User:Danny_Benjafield_(WMDE)/MassMessage_Send_List&oldid=28525705-এর তালিকা ব্যবহার করে বার্তাটি ব্যবহারকারী:Danny Benjafield (WMDE)@metawiki পাঠিয়েছেন -->
==উইকিপত্রিকার নতুন বর্ষের প্রথম সংখ্যা: বৈশাখ ১৪৩২==
সবাইকে নববর্ষের শুভেচ্ছা!<br/>
নতুন বর্ষের প্রথম সংখ্যা হিসেবে উইকিপত্রিকার নতুন সংখ্যা প্রকাশিত হয়েছে। আপনি নিচের তালিকা থেকে পছন্দমত প্রবন্ধগুলি পড়তে পারেন।
<div lang="bn" dir="ltr" class="mw-content-ltr"><div style="-moz-column-count:2; -webkit-column-count:2; column-count:2;">
* সম্পাদকীয়: [[:w:bn:উইকিপিডিয়া:উইকিপত্রিকা/বৈশাখ ১৪৩২/সম্পাদকীয়|আগামীর পথে বাংলা উইকিপত্রিকা]]
* বিশেষ প্রতিবেদন: [[:w:bn:উইকিপিডিয়া:উইকিপত্রিকা/বৈশাখ ১৪৩২/বিশেষ প্রতিবেদন|হাতি, ঘোড়া, রাণী শেষ! এবার চেকমেট!]]
* সাক্ষাৎকার: [[:w:bn:উইকিপিডিয়া:উইকিপত্রিকা/বৈশাখ ১৪৩২/সাক্ষাৎকার|অনেক বন্ধুকে আমি সরাসরি উইকিপিডিয়ায় যুক্ত করেছি]]
* ছবিঘর: [[:w:bn:উইকিপিডিয়া:উইকিপত্রিকা/বৈশাখ ১৪৩২/ছবিঘর|গল্পে গল্পে বাংলার প্রেমে উইকি ২০২৫-এর কিছু ছবি]]
* পরিসংখ্যান: [[:w:bn:উইকিপিডিয়া:উইকিপত্রিকা/বৈশাখ ১৪৩২/পরিসংখ্যান|মার্চের শীর্ষ দশ]]
* উইকিমিডিয়া সংবাদ: [[:w:bn:উইকিপিডিয়া:উইকিপত্রিকা/বৈশাখ ১৪৩২/উইকিমিডিয়া সংবাদ|ঢাকা উইকিমিডিয়া সম্প্রদায় গঠিত]]
* উইকিপ্রযুক্তি: [[:w:bn:উইকিপিডিয়া:উইকিপত্রিকা/বৈশাখ ১৪৩২/উইকিপ্রযুক্তি|উইকিমিডিয়া সংক্রান্ত প্রতিযোগিতার ভবিষ্যত]]
</div>
{{flatlist|style= margin-top:10px; font-size:90%; padding-left:5px; font-family:Kalpurush, TiroBangla, Noto Sans Bengali, Siyam Rupali, Shonar Bangla; |
* '''[[:w:bn:উইকিপিডিয়া:উইকিপত্রিকা|সম্পূর্ণ উইকিপত্রিকা পড়ুন]]'''
* [[:w:bn:উইকিপিডিয়া:উইকিপত্রিকা/দেয়ালিকা|দেয়ালিকা]]
* [[:w:bn:উইকিপিডিয়া:উইকিপত্রিকা/বার্তাকক্ষ/দ্রুত_আরম্ভ|লেখা পাঠান]] (পরবর্তী মাসের জন্য লেখা পাঠানোর শেষ তারিখ: '''১৫ মে ২০২৫''')}}
-- [[:w:bn:উইকিপিডিয়া:WP/A|উইকিপত্রিকা সম্পাদকদল]]ের পক্ষে, [[ব্যবহারকারী:খাত্তাব হাসান|খাত্তাব হাসান]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:খাত্তাব হাসান|আলাপ]]) ১৮:৪৭, ১৪ এপ্রিল ২০২৫ (ইউটিসি)
== Vote now on the revised UCoC Enforcement Guidelines and U4C Charter ==
<div lang="en" dir="ltr" class="mw-content-ltr">
The voting period for the revisions to the Universal Code of Conduct Enforcement Guidelines ("UCoC EG") and the UCoC's Coordinating Committee Charter is open now through the end of 1 May (UTC) ([https://zonestamp.toolforge.org/1746162000 find in your time zone]). [[m:Special:MyLanguage/Universal_Code_of_Conduct/Annual_review/2025/Voter_information|Read the information on how to participate and read over the proposal before voting]] on the UCoC page on Meta-wiki.
The [[m:Special:MyLanguage/Universal_Code_of_Conduct/Coordinating_Committee|Universal Code of Conduct Coordinating Committee (U4C)]] is a global group dedicated to providing an equitable and consistent implementation of the UCoC. This annual review of the EG and Charter was planned and implemented by the U4C. Further information will be provided in the coming months about the review of the UCoC itself. For more information and the responsibilities of the U4C, you may [[m:Special:MyLanguage/Universal_Code_of_Conduct/Coordinating_Committee/Charter|review the U4C Charter]].
Please share this message with members of your community so they can participate as well.
In cooperation with the U4C -- [[m:User:Keegan (WMF)|Keegan (WMF)]] ([[m:User_talk:Keegan (WMF)|talk]]) ০০:৩৪, ১৭ এপ্রিল ২০২৫ (ইউটিসি)
</div>
<!-- https://meta.wikimedia.org/w/index.php?title=Distribution_list/Global_message_delivery&oldid=28469465-এর তালিকা ব্যবহার করে বার্তাটি ব্যবহারকারী:Keegan (WMF)@metawiki পাঠিয়েছেন -->
== ইউসিওসির প্রয়োগ নির্দেশিকা এবং ইউ৪সি সনদের প্রস্তাবিত পরিবর্তন নিয়ে ভোট চলছে ==
<section begin="announcement-content" />
সর্বজনীন আচরণবিধির প্রয়োগ নির্দেশিকা ও ইউ৪সি সনদের সংশোধনীর ভোটগ্রহণ পর্ব ১ মে ২০২৫ তারিখের ২৩:৫৯ ইউটিসি-তে শেষ হবে ([https://zonestamp.toolforge.org/1746162000 আপনার সময় অঞ্চলে দেখুন])। [[m:Special:MyLanguage/Universal Code of Conduct/Annual review/2025/Voter information|ভোট দেওয়ার আগে মেটা-উইকির ইউসিওসি পাতায় অংশগ্রহণের নিয়মাবলি পড়ুন এবং প্রস্তাবটি ভালোভাবে পর্যালোচনা করুন]]।
[[m:Special:MyLanguage/Universal Code of Conduct/Coordinating Committee|সর্বজনীন আচরণবিধি সমন্বয় কমিটি (ইউ৪সি)]] একটি বৈশ্বিক দল, যেটি ইউসিওসি-এর ন্যায়সঙ্গত ও ধারাবাহিক বাস্তবায়ন নিশ্চিত করার জন্য কাজ করে। এই বার্ষিক পর্যালোচনাটি ইউ৪সি-এর পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়েছে। ইউ৪সি সম্পর্কিত আরও তথ্য এবং তাদের দায়িত্ব সম্পর্কে জানতে চাইলে আপনি [[m:Special:MyLanguage/Universal Code of Conduct/Coordinating Committee/Charter|ইউ৪সি সনদ]] দেখতে পারেন।
দয়া করে এই বার্তাটি আপনার সম্প্রদায়ের সদস্যদের জানান, যাতে তারাও এই প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারে।
ইউ৪সি-র পক্ষে -- <section end="announcement-content" />
<div lang="en" dir="ltr" class="mw-content-ltr">
[[m:User:Keegan (WMF)|Keegan (WMF)]] ([[m:User talk:Keegan (WMF)|talk]]) ০৩:৪০, ২৯ এপ্রিল ২০২৫ (ইউটিসি)</div>
<!-- https://meta.wikimedia.org/w/index.php?title=Distribution_list/Global_message_delivery&oldid=28618011-এর তালিকা ব্যবহার করে বার্তাটি ব্যবহারকারী:Keegan (WMF)@metawiki পাঠিয়েছেন -->
== We will be enabling the new Charts extension on your wiki soon! ==
''(Apologies for posting in English)''
Hi all! We have good news to share regarding the ongoing problem with graphs and charts affecting all wikis that use them.
As you probably know, the [[:mw:Special:MyLanguage/Extension:Graph|old Graph extension]] was disabled in 2023 [[listarchive:list/wikitech-l@lists.wikimedia.org/thread/EWL4AGBEZEDMNNFTM4FRD4MHOU3CVESO/|due to security reasons]]. We’ve worked in these two years to find a solution that could replace the old extension, and provide a safer and better solution to users who wanted to showcase graphs and charts in their articles. We therefore developed the [[:mw:Special:MyLanguage/Extension:Chart|Charts extension]], which will be replacing the old Graph extension and potentially also the [[:mw:Extension:EasyTimeline|EasyTimeline extension]].
After successfully deploying the extension on Italian, Swedish, and Hebrew Wikipedia, as well as on MediaWiki.org, as part of a pilot phase, we are now happy to announce that we are moving forward with the next phase of deployment, which will also include your wiki.
The deployment will happen in batches, and will start from '''May 6'''. Please, consult [[:mw:Special:MyLanguage/Extension:Chart/Project#Deployment Timeline|our page on MediaWiki.org]] to discover when the new Charts extension will be deployed on your wiki. You can also [[:mw:Special:MyLanguage/Extension:Chart|consult the documentation]] about the extension on MediaWiki.org.
If you have questions, need clarifications, or just want to express your opinion about it, please refer to the [[:mw:Special:MyLanguage/Extension_talk:Chart/Project|project’s talk page on Mediawiki.org]], or ping me directly under this thread. If you encounter issues using Charts once it gets enabled on your wiki, please report it on the [[:mw:Extension_talk:Chart/Project|talk page]] or at [[phab:tag/charts|Phabricator]].
Thank you in advance! -- [[User:Sannita (WMF)|User:Sannita (WMF)]] ([[User talk:Sannita (WMF)|talk]]) ১৫:০৮, ৬ মে ২০২৫ (ইউটিসি)
<!-- https://meta.wikimedia.org/w/index.php?title=User:Sannita_(WMF)/Mass_sending_test&oldid=28663781-এর তালিকা ব্যবহার করে বার্তাটি ব্যবহারকারী:Sannita (WMF)@metawiki পাঠিয়েছেন -->
== আন্তর্জাতিক জাদুঘর দিবস সম্পাদনাসভা ২০২৫ ==
<div style="margin: 1em 0; padding: 1em; border: 1px solid #6c8cc8; background-color: #f9f9f9; border-radius: 6px;">
সুপ্রিয়,
[[চিত্র:আন্তর্জাতিক জাদুঘর দিবস সম্পাদনা সভা ২০২৫ (ব্যানার).png|350px|right|link=উইকিপিডিয়া:আন্তর্জাতিক জাদুঘর দিবস সম্পাদনাসভা ২০২৫]]
'''আন্তর্জাতিক জাদুঘর দিবস''' উপলক্ষে <mark>'''২০২৫ সালের ১৮–২৪ মে'''</mark> বাংলা উইকিপিডিয়ায় এক সপ্তাহব্যাপী একটি বিশেষ অনলাইন সম্পাদনাসভার আয়োজন করা হয়েছে। ২০২৪ সালে প্রথমবার আয়োজিত এই উদ্যোগের ধারাবাহিকতায়, এ বছরেও আমাদের লক্ষ্য—বাংলা ভাষায় জাদুঘর ও সংশ্লিষ্ট বিষয়বস্তুসমূহের তথ্য সমৃদ্ধ ও মানোন্নয়ন করা। আপনার অবদান ও সম্পাদনার মাধ্যমে আপনি এই জ্ঞানভিত্তিক কার্যক্রমে অংশ নিতে পারেন। অংশগ্রহণকারীদের অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ প্রদান করা হবে '''উইকিপদক ও ডিজিটাল সনদপত্র'''। সম্পাদনাসভা সম্পর্কিত বিস্তারিত জানতে দেখুন '''[[w:bn:উইকিপিডিয়া:আন্তর্জাতিক জাদুঘর দিবস সম্পাদনাসভা ২০২৫|আয়োজনের মূল পাতা]]'''। আপনার অংশগ্রহণ বাংলা উইকিপিডিয়াকে আরও সমৃদ্ধ করার পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।
আপনার সম্পাদনা শুভ হোক।
[[w:bn:উইকিমিডিয়া বাংলাদেশ|উইকিমিডিয়া বাংলাদেশের]] পক্ষে,<br/>
[[ব্যবহারকারী:Moheen|<b style="text-shadow:#c5C3e3 0.2em 0.2em 0.2em; fontcolor: #3b5998">~মহীন</b>]] [[ব্যবহারকারী আলাপ:Moheen|<sup>(আলাপ)</sup>]] ২২:২৯, ১২ মে ২০২৫ (ইউটিসি)
</div>
== সর্বজনীন আচরণবিধি সমন্বয় কমিটির জন্য আগ্রহী প্রার্থীদের প্রার্থীতা আহ্বান করা হচ্ছে ==
<section begin="announcement-content" />
সার্বজনীন আচরণবিধির বাস্তবায়ন নির্দেশিকা এবং সার্বজনীন আচরণবিধি সমন্বয় কমিটির (ইউ৪সি) সনদের উপর ভোটের ফলাফল [[m:Special:MyLanguage/Universal Code of Conduct/Annual review/2025#Results|মেটা-উইকিতে উপলব্ধ]] রয়েছে।
আপনি এখন থেকে ২৯ মে ২০২৫ তারিখ ১২:০০ ইউটিসি পর্যন্ত [[m:Special:MyLanguage/Universal Code of Conduct/Coordinating Committee/Election/2025/Candidates|ইউ৪সি-তে আপনার প্রার্থীতা জমা দিতে]] পারেন। [[m:Special:MyLanguage/Universal Code of Conduct/Coordinating Committee/Election/2025|যোগ্যতা, প্রক্রিয়া এবং সময়সীমা সম্পর্কিত তথ্য মেটা-উইকিতে]] রয়েছে। প্রার্থীদের নিয়ে ১ জুন ২০২৫ তারিখ থেকে ভোট শুরু হবে এবং দুই সপ্তাহ ধরে চলে ১৫ জুন ২০২৫ তারিখ ১২:০০ ইউটিসিতে শেষ হবে।
আপনার যদি কোনো প্রশ্ন থাকে, তবে আপনি তা [[m:Talk:Universal Code of Conduct/Coordinating Committee/Election/2025|নির্বাচনের আলোচনা পাতায়]] জিজ্ঞাসা করতে পারেন। -- ইউ৪সির পক্ষে, </div><section end="announcement-content" />
<bdi lang="en" dir="ltr">[[m:User:Keegan (WMF)|Keegan (WMF)]] ([[m:User_talk:Keegan (WMF)|আলোচনা]])</bdi> ২২:০৬, ১৫ মে ২০২৫ (ইউটিসি)
<!-- https://meta.wikimedia.org/w/index.php?title=Distribution_list/Global_message_delivery&oldid=28618011-এর তালিকা ব্যবহার করে বার্তাটি ব্যবহারকারী:Keegan (WMF)@metawiki পাঠিয়েছেন -->
== RfC ongoing regarding Abstract Wikipedia (and your project) ==
<div lang="en" dir="ltr" class="mw-content-ltr">
''(Apologies for posting in English, if this is not your first language)''
Hello all! We opened a discussion on Meta about a very delicate issue for the development of [[:m:Special:MyLanguage/Abstract Wikipedia|Abstract Wikipedia]]: where to store the abstract content that will be developed through functions from Wikifunctions and data from Wikidata. Since some of the hypothesis involve your project, we wanted to hear your thoughts too.
We want to make the decision process clear: we do not yet know which option we want to use, which is why we are consulting here. We will take the arguments from the Wikimedia communities into account, and we want to consult with the different communities and hear arguments that will help us with the decision. The decision will be made and communicated after the consultation period by the Foundation.
You can read the various hypothesis and have your say at [[:m:Abstract Wikipedia/Location of Abstract Content|Abstract Wikipedia/Location of Abstract Content]]. Thank you in advance! -- [[User:Sannita (WMF)|Sannita (WMF)]] ([[User talk:Sannita (WMF)|<span class="signature-talk">{{int:Talkpagelinktext}}</span>]]) ১৫:২৬, ২২ মে ২০২৫ (ইউটিসি)
</div>
<!-- https://meta.wikimedia.org/w/index.php?title=User:Sannita_(WMF)/Mass_sending_test&oldid=28768453-এর তালিকা ব্যবহার করে বার্তাটি ব্যবহারকারী:Sannita (WMF)@metawiki পাঠিয়েছেন -->
== উইকিমিডিয়া ফাউন্ডেশনের ট্রাস্টি বোর্ড ২০২৫ নির্বাচন এবং প্রশ্নের জন্য আহ্বান ==
<section begin="announcement-content" />
:''[[m:Special:MyLanguage/Wikimedia Foundation elections/2025/Announcement/Selection announcement|{{int:interlanguage-link-mul}}]] • [https://meta.wikimedia.org/w/index.php?title=Special:Translate&group=page-{{urlencode:Wikimedia Foundation elections/2025/Announcement/Selection announcement}}&language=&action=page&filter= {{int:please-translate}}]''
প্রিয় সবাই,
এই বছর, উইকিমিডিয়া ফাউন্ডেশনের ট্রাস্টি বোর্ডের সম্প্রদায়- এবং অধিভুক্ত-নির্বাচিত ২ (দুই) জন ট্রাস্টির মেয়াদ শেষ হবে [১]। বোর্ড সমগ্র আন্দোলনকে এই বছরের নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করার জন্য এবং সেই আসনগুলি পূরণের উদ্দেশ্যে ভোট দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানাচ্ছে।
নির্বাচন কমিটি ফাউন্ডেশন কর্মীদের সহায়তায় এই প্রক্রিয়াটি তদারকি করবে [২]। শাসন কমিটি ২০২৫ সালের ট্রাস্টি নির্বাচন প্রক্রিয়ার জন্য বোর্ড তত্ত্বাবধান প্রদান করেছে এবং তারা বোর্ডকে অবহিত রাখার ক্ষেত্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত। এই কমিটি ২০২৫ সালের সম্প্রদায়- এবং অধিভুক্ত-নির্বাচিত ট্রাস্টি নির্বাচন প্রক্রিয়ার প্রার্থী নন এমন ট্রাস্টিদের (রাজু নারিসেত্তি, শানি ইভেনস্টাইন সিগালভ, লরেঞ্জো লোসা, ক্যাথি কলিন্স, ভিক্টোরিয়া ডোরোনিনা এবং এসরা’আ আল শাফেই)[৩] নিয়ে গঠিত। নির্বাচন কমিটি, বোর্ড এবং কর্মীদের ভূমিকা সম্পর্কে আরও বিশদ এখানে পাওয়া যাবে [৪]।
এখানে মূল পরিকল্পিত তারিখগুলি দেওয়া হল:
* ২২শে মে – ৫ই জুল: ঘোষণা (এই যোগাযোগের) এবং প্রশ্ন আহ্বানের সময়কাল [৬]
* ১৭ই জুন – ১লা জুলাই, ২০২৫: প্রার্থী পদ আহ্বান
* জুলাই ২০২৫: ১০ জন বা তার বেশি আবেদন করলে প্রয়োজনে, অধিভুক্তরা ভোট দিয়ে প্রার্থীদের বাছাই করবে [৫]
* আগস্ট ২০২৫: প্রচারের সময়কাল
* আগস্ট – সেপ্টেম্বর ২০২৫: সম্প্রদায়ের ভোটদানের জন্য দুই সপ্তাহের সময়কাল
* অক্টোবর – নভেম্বর ২০২৫: নির্বাচিত প্রার্থীদের ব্যাকগ্রাউন্ড পরীক্ষা
* ২০২৫ সালের ডিসেম্বরে বোর্ডের সভা: নতুন ট্রাস্টিদের বসানো হবে
এই মেটা-উইকি পাতায় ২০২৫ সালের নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পর্কে আরও জানুন - যার মধ্যে রয়েছে বিস্তারিত সময়রেখা, প্রার্থীতা প্রক্রিয়া, প্রচারণার নিয়ম এবং ভোটার যোগ্যতার মানদণ্ড। [[m:Special:MyLanguage/Wikimedia_Foundation_elections/2025|[লিঙ্ক]]]।
'''প্রশ্নের জন্য আহ্বান'''
প্রতিটি নির্বাচন প্রক্রিয়ায়, সম্প্রদায়ের ট্রাস্টি বোর্ডের প্রার্থীদের জন্য প্রশ্ন জমা দেওয়ার সুযোগ রয়েছে, যেগুলির উত্তর তাঁরা দেবেন। নির্বাচন কমিটি সম্প্রদায় কর্তৃক তৈরি তালিকা থেকে প্রশ্ন নির্বাচন করবে, যার উত্তর প্রার্থীরা দেবেন। যোগ্য হওয়ার জন্য আবেদনপত্রে প্রয়োজনীয় সমস্ত প্রশ্নের উত্তর প্রার্থীদের দিতে হবে; অন্যথায় তাঁদের আবেদন অযোগ্য ঘোষণা করা হবে। এই বছর, নির্বাচন কমিটি প্রার্থীদের উত্তর দেওয়ার জন্য ৫টি প্রশ্ন নির্বাচন করবে। নির্বাচিত প্রশ্নগুলি সম্প্রদায়ের জমা দেওয়া প্রশ্নগুলির সংমিশ্রণ হতে পারে, যদি সেগুলি একই রকম বা সম্পর্কিত হয়।[[m:Special:MyLanguage/Wikimedia_Foundation_elections/2025/Questions_for_candidates|[লিঙ্ক]]]
'''নির্বাচনী স্বেচ্ছাসেবক'''
২০২৫ সালের নির্বাচন প্রক্রিয়ার সাথে জড়িত থাকার আরেকটি উপায় হল একজন নির্বাচনী স্বেচ্ছাসেবক হওয়া। নির্বাচনী স্বেচ্ছাসেবকরা নির্বাচন কমিটি এবং তাদের নিজ নিজ সম্প্রদায়ের মধ্যে একটি সেতুবন্ধন। তাঁরা তাদের সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে সাহায্য করেন এবং তাদের ভোট দেওয়ার জন্য সংগঠিত করেন। প্রোগ্রামটি এবং কিভাবে যোগদান করবেন সে সম্পর্কে আরও জানুন এই মেটা-উইকি পাতায়। [[m:Wikimedia_Foundation_elections/2025/Election_volunteers|[লিঙ্ক]]]
ধন্যবাদ!
[১] https://meta.wikimedia.org/wiki/Wikimedia_Foundation_elections/2022/Results
[২] https://foundation.wikimedia.org/wiki/Committee:Elections_Committee_Charter
[৩] https://foundation.wikimedia.org/wiki/Resolution:Committee_Membership,_December_2024
[৪] https://meta.wikimedia.org/wiki/Wikimedia_Foundation_elections_committee/Roles
[৫] https://meta.wikimedia.org/wiki/Wikimedia_Foundation_elections/2025/FAQ
[৬] https://meta.wikimedia.org/wiki/Wikimedia_Foundation_elections/2025/Questions_for_candidates
শুভেচ্ছান্তে,
ভিক্টোরিয়া ডোরোনিনা
নির্বাচন কমিটি বোর্ড লিয়াজোঁ
প্রশাসন কমিটি<section end="announcement-content" />
[[ব্যবহারকারী:MediaWiki message delivery|MediaWiki message delivery]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:MediaWiki message delivery|আলাপ]]) ০৩:০৭, ২৮ মে ২০২৫ (ইউটিসি)
<!-- https://meta.wikimedia.org/w/index.php?title=Distribution_list/Global_message_delivery&oldid=28618011-এর তালিকা ব্যবহার করে বার্তাটি ব্যবহারকারী:RamzyM (WMF)@metawiki পাঠিয়েছেন -->
== 📣 Announcing the South Asia Newsletter – Get Involved! 🌏 ==
<div lang="en" dir="ltr">
''{{int:please-translate}}''
Hello Wikimedians of South Asia! 👋
We’re excited to launch the planning phase for the '''South Asia Newsletter''' – a bi-monthly, community-driven publication that brings news, updates, and original stories from across our vibrant region, to one page!
We’re looking for passionate contributors to join us in shaping this initiative:
* Editors/Reviewers – Craft and curate impactful content
* Technical Contributors – Build and maintain templates, modules, and other magic on meta.
* Community Representatives – Represent your Wikimedia Affiliate or community
If you're excited to contribute and help build a strong regional voice, we’d love to have you on board!
👉 Express your interest though [https://docs.google.com/forms/d/e/1FAIpQLSfhk4NIe3YwbX88SG5hJzcF3GjEeh5B1dMgKE3JGSFZ1vtrZw/viewform this link].
Please share this with your community members.. Let’s build this together! 💬
This message was sent with [[ব্যবহারকারী:MediaWiki message delivery|MediaWiki message delivery]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:MediaWiki message delivery|আলাপ]]) by [[m:User:Gnoeee|Gnoeee]] ([[m:User_talk:Gnoeee|talk]]) at ১৫:৪২, ৬ জুন ২০২৫ (ইউটিসি)
</div>
<!-- https://meta.wikimedia.org/w/index.php?title=Global_message_delivery/Targets/South_Asia_Village_Pumps&oldid=25720607-এর তালিকা ব্যবহার করে বার্তাটি ব্যবহারকারী:Gnoeee@metawiki পাঠিয়েছেন -->
== Vote now in the 2025 U4C Election ==
<div lang="en" dir="ltr" class="mw-content-ltr">
Apologies for writing in English.
{{Int:Please-translate}}
Eligible voters are asked to participate in the 2025 [[m:Special:MyLanguage/Universal_Code_of_Conduct/Coordinating_Committee|Universal Code of Conduct Coordinating Committee]] election. More information–including an eligibility check, voting process information, candidate information, and a link to the vote–are available on Meta at the [[m:Special:MyLanguage/Universal_Code_of_Conduct/Coordinating_Committee/Election/2025|2025 Election information page]]. The vote closes on 17 June 2025 at [https://zonestamp.toolforge.org/1750161600 12:00 UTC].
Please vote if your account is eligible. Results will be available by 1 July 2025. -- In cooperation with the U4C, [[m:User:Keegan (WMF)|Keegan (WMF)]] ([[m:User talk:Keegan (WMF)|talk]]) ২৩:০০, ১৩ জুন ২০২৫ (ইউটিসি) </div>
<!-- https://meta.wikimedia.org/w/index.php?title=Distribution_list/Global_message_delivery&oldid=28848819-এর তালিকা ব্যবহার করে বার্তাটি ব্যবহারকারী:Keegan (WMF)@metawiki পাঠিয়েছেন -->
== ছোট সহপ্রকল্প ও উইকিপত্রিকা বিষয়ে অনলাইন সভার আমন্ত্রণ ==
প্রিয় সুধী,<br />
উইকিমিডিয়ার বাংলা ভাষায় চলমান প্রকল্পগুলোর মধ্যে কিছু ছোট প্রকল্প রয়েছে, যেগুলোর গতি ধীর হওয়ায় ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার জন্য একটি সমন্বিত আলোচনা প্রয়োজন। একইসাথে সম্প্রদায়ের সাম্প্রতিক উদ্যোগ “উইকিপত্রিকা” নিয়েও কিছু আলোচনা করা জরুরি। এই প্রেক্ষাপটে, আগামী ২০ জুন ২০২৫, শুক্রবার রাত ৯টা থেকে সর্বোচ্চ রাত ১১টা পর্যন্ত একটি উন্মুক্ত অনলাইন সভার আয়োজন করা হয়েছে।<br />
'''গুগল মিট''': https://meet.google.com/ctu-okwe-qju <br />
'''গুগল ক্যালেন্ডার''': https://calendar.app.google/QLkX7vy3SzC1uU1R6
;আলোচ্যসূচি (এজেন্ডা)
* ইনকিউবেটরে থাকা প্রকল্প দুইটির ভবিষ্যৎ
**উইকিসংবাদ
**উইকিবিশ্ববিদ্যালয়
* প্রতিযোগিতা-পরবর্তী উইকিবই, উইকিঅভিধান উইকিভ্রমণ, উইকিউক্তির অবস্থা ও করণীয়
* উইকিসংকলন ছোট প্রকল্পের আওতায় পড়ে কিনা
* উইকিপ্রজাতি, উইকিউপাত্ত প্রভৃতি বহুভাষিক প্রকল্প, যেখানে প্রয়োজনীয় বাংলা কার্যক্রম তুলনামূলকভাবে স্থির
* একটি ছোট উইকি প্রকল্পের জন্য দল গঠন ও নাম নির্ধারণ
* উইকিপত্রিকা সংক্রান্ত কিছু প্রশ্নোত্তর
আপনাদের প্রত্যেকের মতামত ও পরামর্শ এই আলোচনায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই উপস্থিত থেকে সক্রিয় অংশগ্রহণ করার জন্য অনুরোধ জানানো যাচ্ছে। [[ব্যবহারকারী:খাত্তাব হাসান|খাত্তাব হাসান]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:খাত্তাব হাসান|আলাপ]]) ০৪:১৮, ১৬ জুন ২০২৫ (ইউটিসি)
== উইকিমিডিয়া ফাউন্ডেশন বোর্ড অফ ট্রাস্টি ২০২৫ - প্রার্থীদের জন্য আহ্বান ==
<section begin="announcement-content" />
:''<div class="plainlinks">[[m:Special:MyLanguage/Wikimedia Foundation elections/2025/Announcement/Call for candidates|{{int:interlanguage-link-mul}}]] • [https://meta.wikimedia.org/w/index.php?title=Special:Translate&group=page-{{urlencode:Wikimedia Foundation elections/2025/Announcement/Call for candidates}}&language=&action=page&filter= {{int:please-translate}}]</div>
সকলকে স্বাগতম,
[[m:Special:MyLanguage/Wikimedia Foundation elections/2025|২০২৫ উইকিমিডিয়া ফাউন্ডেশন ট্রাস্টি বোর্ডের নির্বাচনের উদ্দেশ্যে প্রার্থীপদের আহ্বান]] ১৭ জুন, ২০২৫ থেকে ২ জুলাই, ২০২৫ রাত ১১:৫৯ ইউটিসি পর্যন্ত খোলা আছে [১]। ট্রাস্টি বোর্ড উইকিমিডিয়া ফাউন্ডেশনের কাজ তত্ত্বাবধান করে এবং প্রতি ট্রাস্টি তিন বছরের মেয়াদে [২] দায়িত্ব পালন করেন। এটি একটি স্বেচ্ছাসেবক পদ।
এই বছর, ফাউন্ডেশন বোর্ডের দুটি (২) আসন পূরণের জন্য উইকিমিডিয়া সম্প্রদায় ২০২৫ সালের আগস্টের শেষের দিক থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ভোট দেবে। আপনি-অথবা আপনার পরিচিত কেউ-কি উইকিমিডিয়া ফাউন্ডেশনের ট্রাস্টি বোর্ডে যোগদানের জন্য উপযুক্ত হতে পারেন? [৩]
এই নেতৃত্বের পদের জন্য দাঁড়াতে কি কি প্রয়োজন এবং [[m:Special:MyLanguage/Wikimedia Foundation elections/2025/Candidate application|এই মেটা-উইকি পাতা]]য় কিভাবে আপনার প্রার্থীতা জমা দেবেন অথবা অন্য কাউকে এই বছরের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে উৎসাহিত করবেন সে সম্পর্কে আরও জানুন।
শুভেচ্ছান্তে,
অভিষেক সূর্যবংশী<br />
নির্বাচন কমিটির সভাপতি
নির্বাচন কমিটি এবং পরিচালনা কমিটির পক্ষ থেকে
[১] https://meta.wikimedia.org/wiki/Special:MyLanguage/Wikimedia_Foundation_elections/2025/Call_for_candidates
[২] https://foundation.wikimedia.org/wiki/Legal:Bylaws#(B)_Term.
[৩] https://meta.wikimedia.org/wiki/Special:MyLanguage/Wikimedia_Foundation_elections/2025/Resources_for_candidates<section end="announcement-content" />
[[ব্যবহারকারী:MediaWiki message delivery|MediaWiki message delivery]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:MediaWiki message delivery|আলাপ]]) ১৭:৪৩, ১৭ জুন ২০২৫ (ইউটিসি)
<!-- https://meta.wikimedia.org/w/index.php?title=Distribution_list/Global_message_delivery&oldid=28866958-এর তালিকা ব্যবহার করে বার্তাটি ব্যবহারকারী:RamzyM (WMF)@metawiki পাঠিয়েছেন -->
bx3np9kk2fvpo2oxnjj0fkboi8j8zh2
আরবি ভাষা শিক্ষা/বর্ণমালা ও উচ্চারণ
0
2847
84781
76029
2025-06-18T07:22:45Z
2400:C600:3543:C622:974B:B34:CEB8:2171
إنتا واين
84781
wikitext
text/x-wiki
إنتا واين
== বর্ণমালা ও উচ্চারণ ==
{| border="1" cellspacing="0" cellpadding="0" style="border-collapse:collapse; {{Greek clr}}
! width="150" | বর্ণ
! width="150" |নাম
!উচ্চারণ
!সহজবোধ্য বাংলা উদাহরণ
|-
| align="center" | ا، آ || align="center" | ʾঅলিফ়্
|ا: ধ্বনিহীন
آ: 'আ'
|'''আ'''খির
|-
| align="center" | ب || align="center" | বাʾ
|'ব'
|'''বা'''কী
|-
| align="center" | ت، ة || align="center" | তাʾ
|ت: 'ত'
ة: শব্দান্ত্য 'ঃ'; এ বর্ণের এই প্রকার সাধারণতঃ আবার 'ৎ' হইয়া যাহে মূল শব্দের কারকে পরিবর্তন হইলে
|'''তা'''রীখ
|-
| align="center" | ث || align="center" | থ়াʾ
|ইংরাজী 'thing' এর প্রথম ব্যঞ্জনধ্বনি
| -
|-
| align="center" | ج || align="center" | জীম্
|'জ'
|'''জ'''ন্নৎ
|-
| align="center" | ح || align="center" | হ়াʾ
|'হ' এর মত কিন্তু কণ্ঠে অধিক গভীর স্থানে
| -
|-
| align="center" | خ || align="center" | খ়াʾ
|গলা পরিষ্কার করিবার অঘোষ ধ্বনি
| -
|-
| align="center" | د || align="center" | দাল্
|'দ'
|'''দু'''আ
|-
| align="center" | ذ || align="center" | দ়াল্
|ইংরাজী ভাষার 'the' এর প্রথম ব্যঞ্জনধ্বনি
| -
|-
| align="center" | ر || align="center" | ৰাʾ
|স্পন্দিত বাঙ্গালা 'র'
| -
|-
| align="center" | ز || align="center" | জ়ৈন্/জ়ায়্
|পূর্বী বাংলাদেশী 'র' এর উচ্চারণ
|'''জা'''ত (পূর্বী বাংলাদেশী উচ্চারণ)
|-
| align="center" | س || align="center" | সীন্
|কলিকাতার 'স' এর উচ্চারণ
|'''স'''ফর (কলকাতার স্থানীয় উচ্চারণ)
|-
| align="center" | ش || align="center" | শীন্
|'শ'
|'''শ'''রাব
|-
| align="center" | ص || align="center" | স্ʿআদ্
|'স্' এর পশ্চাতে 'ع'
| -
|-
| align="center" | ض || align="center" | দ্ʿআদ্
|'দ্' এর পশ্চাতে 'ع'
| -
|-
| align="center" | ط || align="center" | ৎʿআʾ
|'ৎ' এর পশ্চাতে 'ع'
| -
|-
| align="center" | ظ || align="center" | দ়্ʿআʾ
|'দ়্' এর পশ্চাতে 'ع'
| -
|-
| align="center" | ع || align="center" | ʿঐন্
|কণ্ঠরোধ করিবার শব্দের মত
| -
|-
| align="center" | غ || align="center" |গ়ৈন্
|গলা পরিষ্কার করিবার ঘোষ ধ্বনি
| -
|-
| align="center" | ف || align="center" | ফ়াʾ
|'ফ' এর সামান্য উচ্চারণ
|'''ফা'''য়দা
|-
| align="center" | ق || align="center" | ক়াফ়্
|'ক' এর মত কিন্তু কণ্ঠে অধিক গভীর স্থানে
| -
|-
| align="center" | ك || align="center" | কাফ়্
|'ক'
|'''কু'''রসী
|-
| align="center" | ل || align="center" | লাম্
|'ল'
|'''ল'''ফজ
|-
| align="center" | م || align="center" | মীম্
|'ম'
|'''মা'''লিক
|-
| align="center" | ن || align="center" | নূন্
|'ন'
|'''ন'''জর
|-
| align="center" | و || align="center" | ৱাৱ্
|আধুনিক বাঙ্গালার 'ওয়া'; অসমীয়ার এবং সংস্কৃতের 'ৱ'
| -
|-
| align="center" | ه || align="center" | হাʾ
|'হ'
|'''হি'''লাল
|-
| align="center" | ء || align="center" | হম্জ়ঃ
|গলায় একটি গভীর গভীর স্থানে ছোট ছোট চাপ দিবার মত, বিশেষতঃ একটি স্বরধ্বনির পূর্বে (পরন্তু সবসময় নহে)
| -
|-
| align="center" |ي || align="center" | য়াʾ
|'য়'
|দুনি'''য়া'''
|-
| colspan="5" width="300" |
# আরবী ভাষার এই বর্ণদিগের (ث, ح, خ, ذ, ز, ص, ض, ط, ظ, ع, غ, ق, و, ء) জন্য কোন তুল্য ধ্বনি নহে মান্য বাঙ্গালা ভাষায়, তাই একটি অপরিবর্তিত বাঙ্গালা বর্ণমালা দিয়া ইহাদিগের প্রতীক করা কঠিন।
|-
| colspan="5" width="300" |
{{উইকিপিডিয়া|আরবী}}
|}
{{বইয়ের বিষয়শ্রেণী}}
[[বিষয়শ্রেণী:আরবী ভাষা]]
1zfef9s8mktpqi0394s1jy5sl4s8ex6
ব্যবহারকারী আলাপ:MS Sakib
3
11866
84726
83827
2025-06-18T00:10:03Z
MS Sakib
6561
/* রন্ধনপ্রণালী:ঘোল */ উত্তর
84726
wikitext
text/x-wiki
== বাংলা উইকিবইয়ে স্বাগতম ==
প্রিয় MS Sakib, উইকিবইয়ে স্বাগতম! [[চিত্র:Smiley oui.gif|30px|link=]] </br>
এই প্রকল্পে আপনার আগ্রহের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ; আশা করছি এ পরিবেশটি আপনার ভাল লাগবে এবং উইকিবইকে সমৃদ্ধ করার কাজে আপনি সহায়তা করবেন।। আপনার যদি সাহায্যের প্রয়োজন হয় তাহলে এগুলি দেখুন:
* [[চিত্র:Animated tools.gif|20px|link=]] [[উইকিবই:সহায়িকা|সহায়িকা পাতা]]
* [[চিত্র:Article icon cropped.svg|20px|link=]] [[সাহায্য:কিভাবে একটি নতুন উইকিবই শুরু করবেন|নতুন লেখা শুরু কিভাবে করবেন]]
* [[চিত্র:Notepad icon.svg|20px|link=]] [[উইকিবই:রচনাশৈলী নির্দেশিকা|উইকিবইয়ের রচনাশৈলী]]
* [[চিত্র:Books-aj.svg_aj_ashton_01.svg|20px|link=]] [[উইকিবই:উইকিবই কী?|উইকিবই কী]]
* [[চিত্র:Control copyright icon.svg|20px|link=]] [[উইকিবই:কপিরাইট|কপিরাইট]]
আপনি সম্প্রদায়কে কোন সার্বজনীন প্রশ্ন করতে বা আলোচনা করতে [[উইকিবই:প্রশাসকদের আলোচনাসভা|আলোচনাসভা]] ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়া [[উইকিবই:সম্প্রদায়ের প্রবেশদ্বার|সম্প্রদায়ের প্রবেশদ্বার]] আপনাকে কাজের একটি তালিকা দিবে যা দিয়ে আপনি এখানে সাহায্য করতে পারেন। আপনার যদি কোন প্রশ্ন থাকে তবে বিনা দ্বিধায় [[ব্যবহারকারী আলাপ:MdsShakil|আমার আলাপের পাতায়]] তা করতে পারেন।
অনুগ্রহপূর্বক আলাপের পাতায় বার্তা রাখার পর সম্পাদনা সরঞ্জামদণ্ডের [[চিত্র:OOjs UI icon signature-ltr.svg|22px|link=|alt=স্বাক্ষর আইকন]] চিহ্নে ক্লিক করার মাধ্যমে অথবা চারটি টিল্ডা (<code><nowiki>~~~~</nowiki></code>) চিহ্ন দিয়ে নাম স্বাক্ষর করুন। এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে আপনার নাম এবং তারিখ যোগ করবে। যদি আপনার সাহায্যের প্রয়োজন হয় তাহলে [[উইকিবই:অভ্যর্থনা কমিটি|অভ্যর্থনা কমিটির]] যে-কোনো সদস্যকে প্রশ্ন করুন, বা আপনার আলাপের পাতায় '''<nowiki>{{সাহায্য করুন}}</nowiki>''' লিখুন এবং তার নিচে নিচে আপনার প্রশ্নটি লিখুন। একজন সাহায্যকারী কিছুক্ষণের মধ্যে আপনার প্রশ্নের উত্তর দেবেন।<br /> আশা করি আপনি [[উইকিবই:সম্প্রদায়ের প্রবেশদ্বার|বাংলা উইকিবই সম্প্রদায়ের]] একজন হয়ে সম্পাদনা করে আনন্দ পাবেন! আবারও স্বাগতম এবং শুভেচ্ছা!<br>
— [[উইকিবই:অভ্যর্থনা কমিটি|উইকিবই অভ্যর্থনা কমিটি]] [[ব্যবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:MdsShakil|আলাপ]]) ০৬:৩৮, ১৩ অক্টোবর ২০২১ (ইউটিসি)
== '''উইকি শিশুদের ভালোবাসে''' লিখন প্রতিযোগিতা- ''অংশ নিন ও পুরস্কার জিতুন'' ==
{| style="background-color: #9ee5ff; border: 1px solid #00b0f0; padding:10px;"
|-
|[[File:WLC logo.svg|frameless|right|100px]] সুপ্রিয় {{BASEPAGENAME}},
আশা করি এই গুমোট আবহাওয়াতেও ভালো আছেন। আপনার জ্ঞাতার্থে জানাচ্ছি যে, গত ১৬ অক্টোবর থেকে বাংলা উইকিবইয়ে '''[[উইকিবই:উইকি শিশুদের ভালোবাসে ২০২১|উইকি শিশুদের ভালোবাসে ২০২১]]''' শীর্ষক একটি লিখন ও অনুবাদ প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। আপনাকে এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। প্রতিযোগিতাটি অভিজ্ঞ, অনভিজ্ঞ ও নতুন ব্যবহারকারী সকলের জন্যই উন্মুক্ত।
অন্যান্য ভাষার উইকিবইয়ের চাইতে বাংলা উইকিবইয়ে অবদানকারীর সংখ্যা নিতান্তই কম, এমনকি সংখ্যাটি বাংলা উইকিপিডিয়ার তুলনায়ও নগণ্য। অথচ ডিজিটাল বইয়ের এই যুগে বাংলা উইকিবই যথেষ্ট গুরত্বের দাবি রাখে। এজন্য আমাদের আরও স্বেচ্ছাসেবক প্রয়োজন। আশা করি আপনি এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবেন ও উইকিবইকে সমৃদ্ধ করবেন। বিস্তারিত [[উইকিবই:উইকি শিশুদের ভালোবাসে ২০২১|প্রকল্প পাতায়]] দেখুন।
'''শীর্ষ অবদানকারীদের জন্য পুরষ্কার'''
* প্রথম পুরস্কার - ৳১৬০০ গিফট ভাউচার + মুদ্রিত সনদপত্র
* দ্বিতীয় পুরস্কার - ৳১২০০ গিফট ভাউচার + মুদ্রিত সনদপত্র
* তৃতীয় পুরস্কার - ৳৮০০ গিফট ভাউচার + মুদ্রিত সনদপত্র
* সকল অবদানকারী পাবেন অনলাইন সনদপত্র ও উইকিপদক
প্রতিযোগিতায় আপনাকে স্বাগত।<br />
শুভেচ্ছান্তে, <br /> [[ব্যবহারকারী:Aishik Rehman|Aishik Rehman]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:Aishik Rehman|আলাপ]]) ১৮:১৫, ১৭ অক্টোবর ২০২১ (ইউটিসি)
|}
== উইকি শিশুদের ভালোবাসে ২০২১ <small>(তথ্য প্রদানের অনুরোধ) </small> ==
<div style="border:1px solid #88ddfc;">
<div style=" padding:10px;">
<span style="font-size:180%;">'''উইকি শিশুদের ভালোবাসে ২০২১'''</span>
<br/>'''১৬ অক্টোবর - ৩১ অক্টোবর, ২০২১'''
</div>
<div style="padding:10px; font-size:1.1em;">[[File:WLC logo.svg|right|frameless]]
'''[[উইকিবই:উইকি শিশুদের ভালোবাসে ২০২১|উইকি শিশুদের ভালোবাসে ২০২১]]''' (''উইকি লাভস চিল্ড্রেন'') প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণপূর্বক শিশুতোষ বই রচনা ও অনুবাদের মাধ্যমে বাংলা উইকিবইকে সমৃদ্ধ করার প্রচেষ্টায় আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ। অনুগ্রহ করে <span class="plainlinks">'''[https://docs.google.com/forms/d/e/1FAIpQLSfHVfa1Aunuqf9O4rCaSYwpzUZYfwGhrThhlCBu9NbwGsxV-A/viewform?usp=sf_link এই ফর্মটি]'''</span> পূরণ করুন এবং পুরস্কার ও সনদপত্র প্রদান সহ পরবর্তী ধাপগুলি সম্পন্ন করতে আমাদেরকে সহযোগিতা করুন৷
<small>আপনার যদি কোনো প্রশ্ন বা জিজ্ঞাসা থাকে, তাহলে নির্দ্বিধায় আয়োজকদের সাথে যোগাযোগ করুন।</small>
শুভেচ্ছান্তে,
<br />'''[[User:Aishik Rehman|Aishik Rehman]]'''
<br />আয়োজক, উইকি লাভস চিল্ড্রেন
<br />০৭:৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২১ (ইউটিসি)
</div>
</div>
== উইকি শিশুদের ভালোবাসে ২০২১ পদক ==
<div style="display:flex;flex-direction:row; flex-wrap:wrap; justify-content: center; align-items: center; border-radius: 5px; border:1px solid lightblue; padding:10px;gap:10px;">
<div style="flex:0 0 200px; display:inline-block;">[[File:Blue Barnstar.png|200px|link=|পদক]]</div>
<div style="flex:1 0 300px; text-align: left; vertical-align:middle; display:inline-block;">
<span style="font-family: Siyam Rupali; font-size: 1.5em;">'''উইকি শিশুদের ভালোবাসে ২০২১ পদক'''</span><br>
<p>প্রিয় MS Sakib,<br>
বাংলা উইকিবইয়ে সম্প্রতি আয়োজিত, ‘[[উইকিবই:উইকি শিশুদের ভালোবাসে ২০২১|উইকি শিশুদের ভালোবাসে ২০২১]]’ শীর্ষক গ্রন্থলিখন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করায় আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। প্রতিযোগিতায় শিশু বিষয়ক গ্রন্থ/গ্রন্থপৃষ্ঠা তৈরির মাধ্যমে বাংলা উইকিবইয়ের অগ্রযাত্রা ত্বরান্বিত করতে ভূমিকা রাখায়, শুভেচ্ছাস্মারক হিসেবে আপনাকে এই উইকিপদকটি প্রদান করা হলো। আশা করি বাংলা উইকিবইয়ের পথচলায় আপনার সরব ভূমিকা অব্যাহত থাকবে। সুস্থ, সুন্দর ও নিরাপদে থাকুন।
<br />শুভেচ্ছান্তে,
<br />'''[[User:Aishik Rehman|Aishik Rehman]]'''
<br />আয়োজক, উইকি লাভস চিল্ড্রেন
<br />০৭:৫২, ২ ডিসেম্বর ২০২১ (ইউটিসি)
</p>
</div>
</div>
== গণিতে হাতেখড়ি/ঋণাত্মক সংখ্যা ==
জনাব {{BASEPAGENAME}},<br/>
[[উইকিবই: উইকিবই লিখন প্রতিযোগিতা ২০২২]] উপলক্ষে প্রস্তুত করা [[উইকিশৈশব:গণিতে হাতেখড়ি/ঋণাত্মক সংখ্যা]] বইটি পুনঃ পর্যালোচনা করুন। — [[ব্যবহারকারী:MdaNoman|নোমান]] <span>[[User talk:MdaNoman |(আলাপ)]]</span> ১৪:২০, ৫ অক্টোবর ২০২২ (ইউটিসি)
== উইকিবই লিখন প্রতিযোগিতা: তথ্য প্রদানের অনুরোধ ==
{| style="margin: 1em 4em;"
|- valign="top"
| [[চিত্র:Wikibooks Writing Contest.svg|146px|link=উইকিবই:উইকিবই লিখন প্রতিযোগিতা ২০২২]]
| <div style="background-color:#f4f3f0; color: #393D38; padding: 0.4em 1em;border-radius:10px;">
সুপ্রিয় MS Sakib,<br>[[উইকিবই:উইকিবই লিখন প্রতিযোগিতা ২০২২|উইকিবই লিখন প্রতিযোগিতা ২০২২]]-এ পর্যালোচক হিসেবে কাজ করার জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ। আপনার আন্তরিক সহয়তার জন্য প্রতিযোগীতাটি সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। আয়োজক দল পুরস্কার প্রদানের উদ্দেশ্যে তথ্য সংগ্রহ করছে। তাই আমরা আপনাকে '''[https://docs.google.com/forms/d/e/1FAIpQLSe6AjysEkRQO1R86LmhqJxQvt9siyvaCx6__xHbiyGINyvg4A/viewform এই ফর্মটি পূরণ করতে] অনুরোধ করছি'''। যদি আপনি ইতোমধ্যেই ফর্মটি পূরণ করে থাকেন, তাহলে দয়া করে দ্বিতীয়বার পূরণ করবেন না। আপনার সম্পাদনা-যাত্রা শুভ হোক। প্রতিযোগিতার আয়োজক দলের পক্ষে —[[ব্যবহারকারী:MdsShakil|শাকিল]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:MdsShakil|আলাপ]]) ১৬:০৭, ২৩ নভেম্বর ২০২২ (ইউটিসি)
</div>
|}
<!-- https://bn.wikibooks.org/w/index.php?title=%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%AC%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%80:MdsShakil/%E0%A6%97%E0%A6%A3%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BE&oldid=52127-এর তালিকা ব্যবহার করে বার্তাটি ব্যবহারকারী:MdsShakil@bnwikibooks পাঠিয়েছেন -->
== ইউজার লিস্টে নাম আসে না কেন? ==
ভাইয়া আমি সদস্য হয়েছি। বেশ কয়েকটা জমা দিয়েছি কিন্তু এইখানে লিস্টে আমার নাম আসে না কেন? [[ব্যবহারকারী:Robiul islam 50|Robiul islam 50]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:Robiul islam 50|আলাপ]]) ১০:০৬, ২২ জুন ২০২৪ (ইউটিসি)
== উইকিবই লিখন প্রতিযোগিতা ২০২৪: তথ্য প্রদানের অনুরোধ ==
{| style="margin: 1em 4em;"
|- valign="top"
| [[চিত্র:Wikibooks Writing Contest.svg|146px|link=উইকিবই:উইকিবই লিখন প্রতিযোগিতা ২০২৪]]
| <div style="background-color:#f4f3f0; color: #393D38; padding: 0.4em 1em;border-radius:10px;">
সুপ্রিয় MS Sakib,<br>[[উইকিবই:উইকিবই লিখন প্রতিযোগিতা ২০২৪|উইকিবই লিখন প্রতিযোগিতা ২০২৪]]-এ অংশগ্রহণের জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ। আপনি জেনে আনন্দিত হবেন যে, আপনার জমা দেয়া এক বা একাধিক পাতা প্রতিযোগিতায় গৃহীত হয়েছে। আপনাকে অভিনন্দন! আয়োজক দল পুরস্কার প্রদানের উদ্দেশ্যে তথ্য সংগ্রহ করছে। তাই আমরা আপনাকে '''[https://docs.google.com/forms/d/e/1FAIpQLSfbU0XnUtQltWCaC59XqYCfjFicHrveyMOi_wW_g-I4FRnJMA/viewform?usp=sf_link এই ফর্মটি পূরণ করতে] অনুরোধ করছি'''। যদি আপনি ইতোমধ্যেই ফর্মটি পূরণ করে থাকেন, তাহলে দয়া করে দ্বিতীয়বার পূরণ করবেন না। আপনার সম্পাদনা-যাত্রা শুভ হোক। প্রতিযোগিতার আয়োজক দলের পক্ষে —[[ব্যবহারকারী:MdsShakil|শাকিল]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:MdsShakil|আলাপ]]) ১০:২১, ২৯ জুলাই ২০২৪ (ইউটিসি)
</div>
|}
<!-- https://bn.wikibooks.org/w/index.php?title=%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%AC%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%80:MdsShakil/%E0%A6%96%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%98%E0%A6%B0&oldid=69589-এর তালিকা ব্যবহার করে বার্তাটি ব্যবহারকারী:MdsShakil@bnwikibooks পাঠিয়েছেন -->
== উইকিবই লিখন প্রতিযোগিতা ২০২৪ পদক ==
{| style="background-color: #fdffe7; border: 1px solid #fceb92;"
|rowspan="2" style="vertical-align: middle; padding: 5px;" | [[চিত্র:Wikibooks Writing Contest barnstar.svg|100px]]
|style="font-size: x-large; padding: 3px 3px 0 3px; height: 1.5em;" | '''উইকিবই লিখন প্রতিযোগিতা ২০২৪ পদক'''
|-
|style="vertical-align: middle; padding: 3px;" | সুপ্রিয় MS Sakib,<br />বাংলা উইকিবইয়ে সম্প্রতি আয়োজিত, '''[[উইকিবই:উইকিবই লিখন প্রতিযোগিতা ২০২৪|উইকিবই লিখন প্রতিযোগিতা ২০২৪]]''' শীর্ষক গ্রন্থলিখন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করায় আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। প্রতিযোগিতায় তালিকাভুক্ত গ্রন্থ/গ্রন্থপৃষ্ঠা তৈরির মাধ্যমে বাংলা উইকিবইয়ের অগ্রযাত্রা ত্বরান্বিত করতে ভূমিকা রাখায়, শুভেচ্ছাস্মারক হিসেবে আপনাকে এই উইকিপদকটি প্রদান করা হলো। আশা করি বাংলা উইকিবইয়ের পথচলায় আপনার সরব ভূমিকা অব্যাহত থাকবে। সুস্থ, সুন্দর ও নিরাপদে থাকুন।
<br />শুভেচ্ছান্তে,
<br />'''[[User:MdsShakil|শাকিল হোসেন]]'''
<br />সমন্বয়ক, উইকিবই লিখন প্রতিযোগিতা ২০২৪
<br />১০:৩৩, ২৪ আগস্ট ২০২৪ (ইউটিসি)
|}
<!-- https://bn.wikibooks.org/w/index.php?title=%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%AC%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%80:MdsShakil/%E0%A6%96%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%98%E0%A6%B0&oldid=69912-এর তালিকা ব্যবহার করে বার্তাটি ব্যবহারকারী:MdsShakil@bnwikibooks পাঠিয়েছেন -->
== পুনঃপর্যালোচনা করার অনুরোধ ==
জনাব দয়া করে [[রন্ধনপ্রণালী:চিকেন নাগেট]] পাতাটি পুনঃপর্যালোচনা করুন। আমি আপনার বার্তা মতো যথাসাথ্য সম্পাদনা করেছি। [[ব্যবহারকারী:Md Mobashir Hossain|Md Mobashir Hossain]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:Md Mobashir Hossain|আলাপ]]) ১৪:৩৮, ১২ মে ২০২৫ (ইউটিসি)
:@[[ব্যবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] [[রন্ধনপ্রণালী:চিকেন রোল]] কেও পুনরায় পর্যালোচনা করার অনুরোধ করবো। [[ব্যবহারকারী:Md Mobashir Hossain|Md Mobashir Hossain]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:Md Mobashir Hossain|আলাপ]]) ১৪:৫১, ১২ মে ২০২৫ (ইউটিসি)
::[[রন্ধনপ্রণালী:চিকেন রোল]]
::১/২ কাপ + ১ কাপ এটা কী ধরনের মাপ? প্যান এর বাংলা করুন [[ব্যবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:R1F4T|আলাপ]]) ১৫:৪১, ১২ মে ২০২৫ (ইউটিসি)
:::@[[ব্যবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] প্যান এর বাংলা আমার জানা নাই। [[ব্যবহারকারী:Md Mobashir Hossain|Md Mobashir Hossain]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:Md Mobashir Hossain|আলাপ]]) ১৬:১৫, ১২ মে ২০২৫ (ইউটিসি)
::::@[[ব্যবহারকারী:Md Mobashir Hossain|Md Mobashir Hossain]] তাওয়া হতে পারে [[ব্যবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:R1F4T|আলাপ]]) ১৬:১৭, ১২ মে ২০২৫ (ইউটিসি)
::::একই সমস্যা ২ টেবিল চামচ + ২ টেবিল চামচ [[ব্যবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:R1F4T|আলাপ]]) ১৬:১৮, ১২ মে ২০২৫ (ইউটিসি)
:@[[ব্যবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] [[রন্ধনপ্রণালী:লাচ্ছা সেমাই]] টাকেও প্লিজ। [[ব্যবহারকারী:Md Mobashir Hossain|Md Mobashir Hossain]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:Md Mobashir Hossain|আলাপ]]) ১৫:১২, ১২ মে ২০২৫ (ইউটিসি)
::[[রন্ধনপ্রণালী:লাচ্ছা সেমাই]]
::প্যান শব্দের বাংলা করুন। "দুধ ফুটে মিষ্টি হয়ে যাবে" মানে কী? এই বাক্য সংশোধন করুন। কোনো লেখা গত পরিবর্তন করা হয়নি পর্যালোচনার পর [[ব্যবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:R1F4T|আলাপ]]) ১৫:৩৫, ১২ মে ২০২৫ (ইউটিসি)
:::{{ping|Md Mobashir Hossain}} [[ব্যবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:R1F4T|আলাপ]]) ১৫:৪৫, ১২ মে ২০২৫ (ইউটিসি)
:@[[ব্যবহারকারী:MS Sakib|সাকিব]] ভাই, আমি সব সংশোধন করেছি আর আমাকে সতর্ক করার জন্য @[[ব্যবহারকারী:R1F4T|রিফাত]] ভাইকে অনেক ধন্যবাদ। [[ব্যবহারকারী:Md Mobashir Hossain|Md Mobashir Hossain]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:Md Mobashir Hossain|আলাপ]]) ১৬:২৬, ১২ মে ২০২৫ (ইউটিসি)
::@[[ব্যবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] ভাই! [[ব্যবহারকারী:Md Mobashir Hossain|Md Mobashir Hossain]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:Md Mobashir Hossain|আলাপ]]) ০৭:০৭, ১৫ মে ২০২৫ (ইউটিসি)
:::@[[ব্যবহারকারী:Md Mobashir Hossain|Md Mobashir Hossain]] পুনঃপর্যালোচনা করা হবে। অপেক্ষা করুন। বারবার পিং করার প্রয়োজন নেই। ≈ <b style="border:1.5px solid #736AFF;font-family:georgia;font-variant:small-caps">[[User:MS_Sakib|<b style="background-color:#FBB117;color:#7E2217">MS Sakib </b>]][[User talk:MS Sakib| «আলাপ»]]</b> ১৯:০২, ১৫ মে ২০২৫ (ইউটিসি)
::::সাকিব ভাই! মনে হয় ভুলে গিয়েছেন। :/ [[ব্যবহারকারী:Md Mobashir Hossain|Md Mobashir Hossain]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:Md Mobashir Hossain|আলাপ]]) ০৫:০৬, ৭ জুন ২০২৫ (ইউটিসি)
:::::@[[ব্যবহারকারী:Md Mobashir Hossain|Md Mobashir Hossain]] "১/২ কাপ" বলতে ১ থেকে ২ কাপ অথবা ১ বা দুই কাপ বুঝানো হতে পারে। তাই "আধা কাপ" লিখুন। ≈ <b style="border:1.5px solid #736AFF;font-family:georgia;font-variant:small-caps">[[User:MS_Sakib|<b style="background-color:#FBB117;color:#7E2217">MS Sakib </b>]][[User talk:MS Sakib| «আলাপ»]]</b> ২১:১৯, ৭ জুন ২০২৫ (ইউটিসি)
::::::@[[ব্যবহারকারী:Md Mobashir Hossain|Md Mobashir Hossain]] {{tl|ভগ্নাংশ}} ব্যবহার করতে পারেন [[ব্যবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:R1F4T|আলাপ]]) ০৬:৪৮, ৮ জুন ২০২৫ (ইউটিসি)
== [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/লেখকের স্বীকৃতি]] ==
পুনরায় যাচাই করবেন [[ব্যবহারকারী:MD Abu Siyam|MD Abu Siyam]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:MD Abu Siyam|আলাপ]]) ১৮:১২, ২৪ মে ২০২৫ (ইউটিসি)
:@[[ব্যবহারকারী:MD Abu Siyam|MD Abu Siyam]] এখনও অত্যন্ত যান্ত্রিক। "কেপ টাউন বিশ্ববিদ্যালয়, যারা ‘‘Object-Oriented Programming in Python’’ গ্রন্থটিও CC-BY-SA লাইসেন্সে ভাগ করে নিয়ে তাঁদের প্রচেষ্টার ওপর ভিত্তি করে কাজ করার সুযোগ করে দিয়েছেন।" এটা স্বাভাবিক বাক্যগঠন? ≈ <b style="border:1.5px solid #736AFF;font-family:georgia;font-variant:small-caps">[[User:MS_Sakib|<b style="background-color:#FBB117;color:#7E2217">MS Sakib </b>]][[User talk:MS Sakib| «আলাপ»]]</b> ১৯:৩৯, ২৪ মে ২০২৫ (ইউটিসি)
::আবার দেখুন [[ব্যবহারকারী:MD Abu Siyam|MD Abu Siyam]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:MD Abu Siyam|আলাপ]]) ০৬:০১, ৩০ মে ২০২৫ (ইউটিসি)
== ইন্দ্রিয়তন্ত্র/পরিশিষ্ট ==
যদিও বিজ্ঞান শিক্ষার্থী হওয়ার কারণে আমরা জানি এমনভাবে বিজ্ঞান বইগুলো লেখা হয়। তারপরও সম্পূর্ণ বাংলায় করে দিলাম [[ব্যবহারকারী:Editobd|Editobd]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:Editobd|আলাপ]]) ১০:০৯, ২৫ মে ২০২৫ (ইউটিসি)
== [[রন্ধনপ্রণালী:ঘোল]] ==
আপনি [[রন্ধনপ্রণালী:সমুচা]] দেখার পরামর্শ দিয়েছিলেন, ও সেটি দেখে পরিবর্তন করতে বলেছেন। কিন্তু আমি বুঝতে পারছি না কোথায় পরিবর্তন করতে হবে, আমি “সমুচা” পাতাটি দেখেই এই রন্ধনপ্রণালী লিখেছি। কিছু বাড়তি জিনিস যুক্ত করেছি বটে, তবে অপ্রাসঙ্গিক নয়। [[ব্যবহারকারী:MD Abu Siyam|MD Abu Siyam]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:MD Abu Siyam|আলাপ]]) ০৬:৪৭, ৩১ মে ২০২৫ (ইউটিসি)
:@[[ব্যবহারকারী:MD Abu Siyam|MD Abu Siyam]]: দুঃখিত, পুরোটাই আগাগোড়া AI লিখিত। বাংলা উইকিবইয়ের রন্ধনপ্রণালীতে "আরও দেখুন" সহ অতিরিক্ত কিছু লেখা হয় না।
:তালিকার উপরে নির্দেশিত কাঠামো হিসেবে [[রন্ধনপ্রণালী:সমুচা]] দেওয়া ছিল। আপনার সবগুলো পাতা এই অনুযায়ী সংশোধন করুন, নয়তো গৃহীত হবে না। ≈ <b style="border:1.5px solid #736AFF;font-family:georgia;font-variant:small-caps">[[User:MS_Sakib|<b style="background-color:#FBB117;color:#7E2217">MS Sakib </b>]][[User talk:MS Sakib| «আলাপ»]]</b> ০০:৫৫, ৭ জুন ২০২৫ (ইউটিসি)
::শুধু “আরও দেখুন” অংশ নয়, আমি “ঐতিহাসিক ঘটনা”, “সাস্থ্যসচেতনতা” অংশ ও যুক্ত করেছি। আর এটি ইচ্ছে করেই আমার নিজ থেকে যুক্ত করা। এটি AI এর কাজ নয় !!!
::প্রতিযোগিতার আলাপ পাতায় রন্ধনপ্রণালী তে “তথ্যসূত্র” যোগ করা নিয়ে একজন প্রশ্ন করা হয়েছিল। সেখানেই উত্তর পেয়েছি যে, তথ্যসূত্র বাধ্যতামূলক নয়, তবে [[রন্ধনপ্রণালী:সমুচা]] থেকে বাড়তি অংশ যোগ করলে আরও ভালো হবে।
::সেজন্যই পাতাকে তথ্যবহুল করতে আমি বিভিন্ন অংশ যুক্ত করেছি। আমি চাইলে ওই সকল অংশ মুছে ফেলতে রাজি।
::তবে এই ব্যপারে আলোচনা প্রয়োজন ও সঠিক কারণও দেওয়া প্রয়োজন। [[ব্যবহারকারী:MD Abu Siyam|MD Abu Siyam]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:MD Abu Siyam|আলাপ]]) ০৯:০০, ৭ জুন ২০২৫ (ইউটিসি)
:::@[[ব্যবহারকারী:MD Abu Siyam|MD Abu Siyam]] প্রতিযোগিতায় যেমন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, সেরকম না হলে গ্রহণ করার সুযোগ নেই। আপনি আলাপ পাতায় যার মন্তব্যের কথা বললেন, সে আয়োজক বা পর্যালোচকদের কেউ নয়। সে কেন এমনটা বলেছে, তা কেবল সে-ই বলতে পারে। প্রতিযোগিতার [[উইকিবই আলোচনা:উইকিবই লিখন প্রতিযোগিতা ২০২৫#রন্ধনপ্রণালী নাম স্থানের পাতা সমূহ|মূল আয়োজকের বক্তব্য]] দেখুন (১১ মে ২০২৫)। ≈ <b style="border:1.5px solid #736AFF;font-family:georgia;font-variant:small-caps">[[User:MS_Sakib|<b style="background-color:#FBB117;color:#7E2217">MS Sakib </b>]][[User talk:MS Sakib| «আলাপ»]]</b> ০০:১০, ১৮ জুন ২০২৫ (ইউটিসি)
== পরামর্শ গ্রহণ পূর্বক যথাযথ সংশোধন আনা হয়েছে ==
আসসালামুয়ালাইকুম, ঈদ মোবারক। আশা করি পরিবার নিয়ে ভালো আছেন। আমার তৈরীকৃত এবং আপনার দ্বারা একবার পর্যালোচিত [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/শব্দ]] পাতাটির যান্ত্রিকতা দূরীকরণে আমি আমার যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি। আশা করি আপনি আমার উক্ত পাতাটি পুনরায় পর্যালোচনা করবেন। [[ব্যবহারকারী:Md Mobashir Hossain|Md Mobashir Hossain]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:Md Mobashir Hossain|আলাপ]]) ০৯:১৭, ৭ জুন ২০২৫ (ইউটিসি)
:আমি আরো একটি পাতা সংশোধন করেছি, সময় পেলে দেখুন - [[সাধারণ বলবিজ্ঞান/স্থিতিবিদ্যা]] [[ব্যবহারকারী:Md Mobashir Hossain|Md Mobashir Hossain]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:Md Mobashir Hossain|আলাপ]]) ০৯:২৩, ৭ জুন ২০২৫ (ইউটিসি)
::@[[ব্যবহারকারী:Md Mobashir Hossain|Md Mobashir Hossain]] পাস্কাল একক? ≈ <b style="border:1.5px solid #736AFF;font-family:georgia;font-variant:small-caps">[[User:MS_Sakib|<b style="background-color:#FBB117;color:#7E2217">MS Sakib </b>]][[User talk:MS Sakib| «আলাপ»]]</b> ২১:৩৫, ৭ জুন ২০২৫ (ইউটিসি)
:::@[[ব্যবহারকারী:Md Mobashir Hossain|Md Mobashir Hossain]] পাস্কাল নামে কোনো একক নেই ওটা হয়তো প্যাসকেল হবে [[ব্যবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:R1F4T|আলাপ]]) ১০:৪৬, ৮ জুন ২০২৫ (ইউটিসি)
::::@[[ব্যবহারকারী:Md Mobashir Hossain|Md Mobashir Hossain]] আমি দেখলাম নিবন্ধটিতে ইংরেজির কিছু বিষয়বস্তু নেই আবার অনেক জিনিস অন্যভাবে লেখা আপনি অন্যভাবে সহজ করার উদ্দেশ্যে লিখতেই পারেন কিন্তু কিছু বাক্য দেখলাম ইংরেজির সংস্করণে থাকলেও বাংলা নেই আবার কিছু জিনিস আপনি নিজে থেকেও যুক্ত করেছেন কোনো বিশেষ কারণ? কিংবা কেনো এমন হয়েছে তার পেছনে কোনো যুক্তি? [[ব্যবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:R1F4T|আলাপ]]) ১১:০৫, ৮ জুন ২০২৫ (ইউটিসি)
hwibug53mj6jkef6r0nhy83bb3kbr8x
ব্যবহারকারী আলাপ:NusJaS
3
16324
84661
84154
2025-06-17T18:49:57Z
Asikur.rahman25
11164
/* জাপানের ইতিহাস: পুরাণ থেকে জাতিসত্ত্বা/সংঘর্ষকালীন রাজ্য যুগ */ নতুন অনুচ্ছেদ
84661
wikitext
text/x-wiki
== বাংলা উইকিবইয়ে স্বাগত ==
প্রিয় NusJaS, উইকিবইয়ে স্বাগত! [[চিত্র:Smiley oui.gif|30px|link=]] </br>
এই প্রকল্পে আপনার আগ্রহের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ; আশা করছি এ পরিবেশটি আপনার ভাল লাগবে এবং উইকিবইকে সমৃদ্ধ করার কাজে আপনি সহায়তা করবেন।। আপনার যদি সাহায্যের প্রয়োজন হয় তাহলে এগুলি দেখুন:
* [[চিত্র:Animated tools.gif|20px|link=]] [[উইকিবই:সহায়িকা|সহায়িকা পাতা]]
* [[চিত্র:Article icon cropped.svg|20px|link=]] [[সাহায্য:কিভাবে একটি নতুন উইকিবই শুরু করবেন|নতুন লেখা শুরু কিভাবে করবেন]]
* [[চিত্র:Notepad icon.svg|20px|link=]] [[উইকিবই:রচনাশৈলী নির্দেশিকা|উইকিবইয়ের রচনাশৈলী]]
* [[চিত্র:Books-aj.svg_aj_ashton_01.svg|20px|link=]] [[উইকিবই:উইকিবই কী?|উইকিবই কী]]
* [[চিত্র:Control copyright icon.svg|20px|link=]] [[উইকিবই:কপিরাইট|কপিরাইট]]
আপনি সম্প্রদায়কে কোন সার্বজনীন প্রশ্ন করতে বা আলোচনা করতে [[উইকিবই:প্রশাসকদের আলোচনাসভা|আলোচনাসভা]] ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়া [[উইকিবই:সম্প্রদায়ের প্রবেশদ্বার|সম্প্রদায়ের প্রবেশদ্বার]] আপনাকে কাজের একটি তালিকা দিবে যা দিয়ে আপনি এখানে সাহায্য করতে পারেন। আপনার যদি কোন প্রশ্ন থাকে তবে বিনা দ্বিধায় [[ব্যবহারকারী আলাপ:MdaNoman|আমার আলাপের পাতায়]] তা করতে পারেন।
অনুগ্রহপূর্বক আলাপের পাতায় বার্তা রাখার পর সম্পাদনা সরঞ্জামদণ্ডের [[চিত্র:OOjs UI icon signature-ltr.svg|22px|link=|alt=স্বাক্ষর আইকন]] চিহ্নে ক্লিক করার মাধ্যমে অথবা চারটি টিল্ডা (<code><nowiki>~~~~</nowiki></code>) চিহ্ন দিয়ে নাম স্বাক্ষর করুন। এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে আপনার নাম এবং তারিখ যোগ করবে। যদি আপনার সাহায্যের প্রয়োজন হয় তাহলে [[উইকিবই:অভ্যর্থনা কমিটি|অভ্যর্থনা কমিটির]] যে-কোনো সদস্যকে প্রশ্ন করুন, বা আপনার আলাপের পাতায় '''<nowiki>{{সাহায্য করুন}}</nowiki>''' লিখুন এবং তার নিচে আপনার প্রশ্নটি লিখুন। একজন সাহায্যকারী কিছুক্ষণের মধ্যে আপনার প্রশ্নের উত্তর দেবেন।<br /> আশা করি আপনি [[উইকিবই:সম্প্রদায়ের প্রবেশদ্বার|বাংলা উইকিবই সম্প্রদায়ের]] একজন হয়ে সম্পাদনা করে আনন্দ পাবেন! আবারও স্বাগত এবং শুভেচ্ছা!<br>
— [[উইকিবই:অভ্যর্থনা কমিটি|উইকিবই অভ্যর্থনা কমিটি]]— [[ব্যবহারকারী:MdaNoman|নোমান]] <span>[[User talk:MdaNoman |(আলাপ)]]</span> ১৪:৪৭, ১ অক্টোবর ২০২২ (ইউটিসি)
== উইকিবই লিখন প্রতিযোগিতা ২০২২ পদক ==
{| style="background-color: #fdffe7; border: 1px solid #fceb92;"
|rowspan="2" style="vertical-align: middle; padding: 5px;" | [[চিত্র:Wikibooks Writing Contest barnstar.svg|100px]]
|style="font-size: x-large; padding: 3px 3px 0 3px; height: 1.5em;" | '''উইকিবই লিখন প্রতিযোগিতা পদক'''
|-
|style="vertical-align: middle; padding: 3px;" | সুপ্রিয় NusJaS, বাংলা উইকিবইয়ে সম্প্রতি আয়োজিত, '''[[উইকিবই:উইকিবই লিখন প্রতিযোগিতা ২০২২|উইকিবই লিখন প্রতিযোগিতা ২০২২]]''' শীর্ষক গ্রন্থলিখন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করায় আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। প্রতিযোগিতায় তালিকাভুক্ত গ্রন্থ/গ্রন্থপৃষ্ঠা তৈরির মাধ্যমে বাংলা উইকিবইয়ের অগ্রযাত্রা ত্বরান্বিত করতে ভূমিকা রাখায়, শুভেচ্ছাস্মারক হিসেবে আপনাকে এই উইকিপদকটি প্রদান করা হলো। আশা করি বাংলা উইকিবইয়ের পথচলায় আপনার সরব ভূমিকা অব্যাহত থাকবে। সুস্থ, সুন্দর ও নিরাপদে থাকুন।
<br />শুভেচ্ছান্তে,
<br />'''[[User:MdsShakil|শাকিল হোসেন]]'''
<br />সমন্বয়ক, উইকিবই লিখন প্রতিযোগিতা ২০২২
<br />১৩:৫৯, ২০ নভেম্বর ২০২২ (ইউটিসি)
|}
<!-- https://bn.wikibooks.org/w/index.php?title=%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%AC%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%80:MdsShakil/%E0%A6%97%E0%A6%A3%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BE&oldid=52050-এর তালিকা ব্যবহার করে বার্তাটি ব্যবহারকারী:MdsShakil@bnwikibooks পাঠিয়েছেন -->
== উইকিবই লিখন প্রতিযোগিতা: তথ্য প্রদানের অনুরোধ ==
{| style="margin: 1em 4em;"
|- valign="top"
| [[চিত্র:Wikibooks Writing Contest.svg|146px|link=উইকিবই:উইকিবই লিখন প্রতিযোগিতা ২০২২]]
| <div style="background-color:#f4f3f0; color: #393D38; padding: 0.4em 1em;border-radius:10px;">
সুপ্রিয় NusJaS,<br>[[উইকিবই:উইকিবই লিখন প্রতিযোগিতা ২০২২|উইকিবই লিখন প্রতিযোগিতা ২০২২]]-এ অংশগ্রহণের জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ। আপনি জেনে আনন্দিত হবেন যে, আপনার জমা দেয়া এক বা একাধিক পাতা প্রতিযোগিতায় গৃহীত হয়েছে। আপনাকে অভিনন্দন! আয়োজক দল পুরস্কার প্রদানের উদ্দেশ্যে তথ্য সংগ্রহ করছে। তাই আমরা আপনাকে '''[https://docs.google.com/forms/d/e/1FAIpQLScOFXrwWd6r8bBuutYxDP2CLQaKUQXFpQD4jpwQwmYjIR4f6A/viewform?usp=send_form এই ফর্মটি পূরণ করতে] অনুরোধ করছি'''। যদি আপনি ইতোমধ্যেই ফর্মটি পূরণ করে থাকেন, তাহলে দয়া করে দ্বিতীয়বার পূরণ করবেন না। আপনার সম্পাদনা-যাত্রা শুভ হোক। প্রতিযোগিতার আয়োজক দলের পক্ষে —[[ব্যবহারকারী:MdsShakil|শাকিল]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:MdsShakil|আলাপ]]) ১৬:৩২, ২০ নভেম্বর ২০২২ (ইউটিসি)
</div>
|}
<!-- https://bn.wikibooks.org/w/index.php?title=%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%AC%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%80:MdsShakil/%E0%A6%97%E0%A6%A3%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BE&oldid=52070-এর তালিকা ব্যবহার করে বার্তাটি ব্যবহারকারী:MdsShakil@bnwikibooks পাঠিয়েছেন -->
:আপনি এখনও ফর্মটি পূরণ করেননি। অনুগ্রহ করে আগামী '''দুই দিনের''' মাঝে ফর্মটি পূরণ করুন, এরমাঝে পূরণ না করলে আপনি পুরস্কারের জন্য বিবেচিত নাও হতে পারেন। —[[ব্যবহারকারী:MdsShakil|শাকিল]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:MdsShakil|আলাপ]]) ০৫:৫৮, ৩ ডিসেম্বর ২০২২ (ইউটিসি)
::@[[ব্যবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] করেছি। [[ব্যবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:NusJaS|আলাপ]]) ২০:৪৬, ৩ ডিসেম্বর ২০২২ (ইউটিসি)
== উইকিবই লিখন প্রতিযোগিতা ২০২৪: তথ্য প্রদানের অনুরোধ ==
{| style="margin: 1em 4em;"
|- valign="top"
| [[চিত্র:Wikibooks Writing Contest.svg|146px|link=উইকিবই:উইকিবই লিখন প্রতিযোগিতা ২০২৪]]
| <div style="background-color:#f4f3f0; color: #393D38; padding: 0.4em 1em;border-radius:10px;">
সুপ্রিয় NusJaS,<br>[[উইকিবই:উইকিবই লিখন প্রতিযোগিতা ২০২৪|উইকিবই লিখন প্রতিযোগিতা ২০২৪]]-এ অংশগ্রহণের জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ। আপনি জেনে আনন্দিত হবেন যে, আপনার জমা দেয়া এক বা একাধিক পাতা প্রতিযোগিতায় গৃহীত হয়েছে। আপনাকে অভিনন্দন! আয়োজক দল পুরস্কার প্রদানের উদ্দেশ্যে তথ্য সংগ্রহ করছে। তাই আমরা আপনাকে '''[https://docs.google.com/forms/d/e/1FAIpQLSfbU0XnUtQltWCaC59XqYCfjFicHrveyMOi_wW_g-I4FRnJMA/viewform?usp=sf_link এই ফর্মটি পূরণ করতে] অনুরোধ করছি'''। যদি আপনি ইতোমধ্যেই ফর্মটি পূরণ করে থাকেন, তাহলে দয়া করে দ্বিতীয়বার পূরণ করবেন না। আপনার সম্পাদনা-যাত্রা শুভ হোক। প্রতিযোগিতার আয়োজক দলের পক্ষে —[[ব্যবহারকারী:MdsShakil|শাকিল]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:MdsShakil|আলাপ]]) ১০:২১, ২৯ জুলাই ২০২৪ (ইউটিসি)
</div>
|}
<!-- https://bn.wikibooks.org/w/index.php?title=%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%AC%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%80:MdsShakil/%E0%A6%96%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%98%E0%A6%B0&oldid=69589-এর তালিকা ব্যবহার করে বার্তাটি ব্যবহারকারী:MdsShakil@bnwikibooks পাঠিয়েছেন -->
== উইকিবই লিখন প্রতিযোগিতা ২০২৪ পদক ==
{| style="background-color: #fdffe7; border: 1px solid #fceb92;"
|rowspan="2" style="vertical-align: middle; padding: 5px;" | [[চিত্র:Wikibooks Writing Contest barnstar.svg|100px]]
|style="font-size: x-large; padding: 3px 3px 0 3px; height: 1.5em;" | '''উইকিবই লিখন প্রতিযোগিতা ২০২৪ পদক'''
|-
|style="vertical-align: middle; padding: 3px;" | সুপ্রিয় NusJaS,<br />বাংলা উইকিবইয়ে সম্প্রতি আয়োজিত, '''[[উইকিবই:উইকিবই লিখন প্রতিযোগিতা ২০২৪|উইকিবই লিখন প্রতিযোগিতা ২০২৪]]''' শীর্ষক গ্রন্থলিখন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করায় আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। প্রতিযোগিতায় তালিকাভুক্ত গ্রন্থ/গ্রন্থপৃষ্ঠা তৈরির মাধ্যমে বাংলা উইকিবইয়ের অগ্রযাত্রা ত্বরান্বিত করতে ভূমিকা রাখায়, শুভেচ্ছাস্মারক হিসেবে আপনাকে এই উইকিপদকটি প্রদান করা হলো। আশা করি বাংলা উইকিবইয়ের পথচলায় আপনার সরব ভূমিকা অব্যাহত থাকবে। সুস্থ, সুন্দর ও নিরাপদে থাকুন।
<br />শুভেচ্ছান্তে,
<br />'''[[User:MdsShakil|শাকিল হোসেন]]'''
<br />সমন্বয়ক, উইকিবই লিখন প্রতিযোগিতা ২০২৪
<br />১০:৩৩, ২৪ আগস্ট ২০২৪ (ইউটিসি)
|}
<!-- https://bn.wikibooks.org/w/index.php?title=%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%AC%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%80:MdsShakil/%E0%A6%96%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%98%E0%A6%B0&oldid=69912-এর তালিকা ব্যবহার করে বার্তাটি ব্যবহারকারী:MdsShakil@bnwikibooks পাঠিয়েছেন -->
== পুনঃপর্যালোচনা ==
আপনার বার্তা মতো ভুল অনুবাদ সংশোধন ও পরিমার্জিত বাংলায় [[লুইস ক্যারল/থ্রু দ্য লুকিং-গ্লাস]] পাতাটিকে গৃহীত করার মতো পর্যায়ে এনেছি। আশা করি সময় পেলে আমার বার্তাটি ও পাতাটি পুনরায় পর্যালোচনা করবেন। {{Thank you}} -- [[ব্যবহারকারী:Md Mobashir Hossain|Md Mobashir Hossain]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:Md Mobashir Hossain|আলাপ]]) ০৪:৩৬, ১৭ মে ২০২৫ (ইউটিসি)
:@[[ব্যবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] ! [[ব্যবহারকারী:Md Mobashir Hossain|Md Mobashir Hossain]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:Md Mobashir Hossain|আলাপ]]) ১২:১৬, ২৬ মে ২০২৫ (ইউটিসি)
:@[[ব্যবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] [[রন্ধনপ্রণালী:চাট]] পাতাটিকেও পুনরায় পর্যালোচনা করার অনুরোধ জানাচ্ছি। [[ব্যবহারকারী:Md Mobashir Hossain|Md Mobashir Hossain]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:Md Mobashir Hossain|আলাপ]]) ০৬:১৯, ২ জুন ২০২৫ (ইউটিসি)
::@[[ব্যবহারকারী:Md Mobashir Hossain|Md Mobashir Hossain]] নির্দেশনা অনুযায়ী হয়নি। [[রন্ধনপ্রণালী:সমুচা]] দেখুন। [[ব্যবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:NusJaS|আলাপ]]) ০৬:২৫, ২ জুন ২০২৫ (ইউটিসি)
:::মনে হয় সংক্ষিপ্ত করতে বলছেন? [[ব্যবহারকারী:Md Mobashir Hossain|Md Mobashir Hossain]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:Md Mobashir Hossain|আলাপ]]) ০৬:৩৬, ২ জুন ২০২৫ (ইউটিসি)
::::@[[ব্যবহারকারী:Md Mobashir Hossain|Md Mobashir Hossain]] উক্ত পাতায় যেরকম ফরম্যাটে আছে, সেভাবেই লিখুন। [[ব্যবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:NusJaS|আলাপ]]) ০৬:৩৯, ২ জুন ২০২৫ (ইউটিসি)
::@[[ব্যবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] দয়া করে [[সাধারণ বলবিজ্ঞান/অবিচ্ছিন্ন সীমা]] পাতাটি দেখুন! সব ঠিক করেছি। শুরু থেকে শেষ। [[ব্যবহারকারী:Md Mobashir Hossain|Md Mobashir Hossain]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:Md Mobashir Hossain|আলাপ]]) ১১:০৫, ৪ জুন ২০২৫ (ইউটিসি)
== [[সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/শিক্ষা]] ==
এটা ঠিক করেছি। [[ব্যবহারকারী:Asikur.rahman25|Asikur.rahman25]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:Asikur.rahman25|আলাপ]]) ১২:১০, ১৭ মে ২০২৫ (ইউটিসি)
:@[[ব্যবহারকারী:Asikur.rahman25|Asikur.rahman25]] গ্রহণ {{করা হয়েছে}}। [[ব্যবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:NusJaS|আলাপ]]) ০৭:৪১, ২৪ মে ২০২৫ (ইউটিসি)
== লুইস ক্যারল/মিস্টার ডজসন ও মিস্টার ক্যারল ==
পাতাটি সম্পূর্ন অনুবাদ ও ঠিক করা হয়েছে [[ব্যবহারকারী:M.Asaduzzaman sahed|M.Asaduzzaman sahed]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:M.Asaduzzaman sahed|আলাপ]]) ১৩:২৭, ১৯ মে ২০২৫ (ইউটিসি)
:@[[ব্যবহারকারী:M.Asaduzzaman sahed|M.Asaduzzaman sahed]] এখনও ইংরেজি লেখা আছে। Minos, Niemand সহ আরও আছে। [[ব্যবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:NusJaS|আলাপ]]) ০৭:৪২, ২৪ মে ২০২৫ (ইউটিসি)
== সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/গোষ্ঠী ==
পাতার ফরম্যাটিং ঠিক করা হয়েছে [[ব্যবহারকারী:M.Asaduzzaman sahed|M.Asaduzzaman sahed]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:M.Asaduzzaman sahed|আলাপ]]) ১৫:২২, ২২ মে ২০২৫ (ইউটিসি)
:@[[ব্যবহারকারী:M.Asaduzzaman sahed|M.Asaduzzaman sahed]] গ্রহণ {{করা হয়েছে}}। [[ব্যবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:NusJaS|আলাপ]]) ০৭:৪৫, ২৪ মে ২০২৫ (ইউটিসি)
== [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/স্নায়ুসংবেদী ইমপ্লান্ট/রেটিনাল ইমপ্লান্ট]] ==
এটা ঠিক করেছি। [[ব্যবহারকারী:SMontaha32|SMontaha32]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:SMontaha32|আলাপ]]) ১০:৫৪, ২৫ মে ২০২৫ (ইউটিসি)
:@[[ব্যবহারকারী:SMontaha32|SMontaha32]] গ্রহণ করেছি। [[ব্যবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:NusJaS|আলাপ]]) ১১:০৮, ২৬ মে ২০২৫ (ইউটিসি)
== [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/স্নায়ুসংবেদী ইমপ্লান্ট/ভেস্টিবুলার ইমপ্লান্ট]] ==
সংশোধন করেছি। [[ব্যবহারকারী:SMontaha32|SMontaha32]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:SMontaha32|আলাপ]]) ১০:৫৫, ২৫ মে ২০২৫ (ইউটিসি)
:@[[ব্যবহারকারী:SMontaha32|SMontaha32]] গ্রহণ করেছি। [[ব্যবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:NusJaS|আলাপ]]) ১১:০৭, ২৬ মে ২০২৫ (ইউটিসি)
== সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/মানব বাস্তুসংস্থান ও পরিবেশ ==
মহোদয় এই পাতাতে কি যান্ত্রিকতা আছে একটু নির্দিষ্ট করে বলুন [[ব্যবহারকারী:M.Asaduzzaman sahed|M.Asaduzzaman sahed]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:M.Asaduzzaman sahed|আলাপ]]) ০৯:০৫, ২৭ মে ২০২৫ (ইউটিসি)
:@[[ব্যবহারকারী:M.Asaduzzaman sahed|M.Asaduzzaman sahed]] কোনো ট্রান্সলেটর টুল বা এআই-এর মাধ্যমে অপরিশোধিত অনুবাদ। complex and compound sentences কে simple করা যান্ত্রিকতা দূর করার একটা সহজ উপায়। [[ব্যবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:NusJaS|আলাপ]]) ১৫:৫৩, ২৯ মে ২০২৫ (ইউটিসি)
== সংশোধন ==
[[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/পৌষ্টিকনালী ও পরিপাক/নিজের জ্ঞান যাচাইয়ের উত্তরমালা]] এবং [[তড়িৎচৌম্বকীয় বিকিরণ/দৃশ্যমান আলো]] অনুবাদ সংশোধন করা হয়েছে। [[ব্যবহারকারী:যুবায়ের হোসাইন কায়েফ|যুবায়ের হোসাইন কায়েফ]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:যুবায়ের হোসাইন কায়েফ|আলাপ]]) ২০:০০, ৩ জুন ২০২৫ (ইউটিসি)
:@[[ব্যবহারকারী:যুবায়ের হোসাইন কায়েফ|যুবায়ের হোসাইন কায়েফ]] গৃহীত হয়েছে। [[ব্যবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:NusJaS|আলাপ]]) ০৫:৪৪, ৪ জুন ২০২৫ (ইউটিসি)
== মানব শারীরতত্ত্ব/সংবহন তন্ত্র ==
ইংরেজি শব্দগুলোর বাংলা পরিভাষা ব্যবহার করা হয়েছে। এছাড়াও পাতার ফরমেট ঠিক করা হয়েছে। [[ব্যবহারকারী:Asikur.rahman25|Asikur.rahman25]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:Asikur.rahman25|আলাপ]]) ০৯:০৬, ১২ জুন ২০২৫ (ইউটিসি)
:@[[ব্যবহারকারী:Asikur.rahman25|Asikur.rahman25]] না, এখনও সব বাংলা পরিভাষা ব্যবহার করা বাকি। পাঠ্যবইয়ে সেমিলুনার কপাটিকা>অর্ধচন্দ্রাকৃতির কপাটিকা, কার্ডিয়াক মাসল>হৃদপেশি, অ্যাওর্টা>মহাধমনী ইত্যাদি ব্যবহৃত হয়। পাতাটিতে এমন আরও ইংরেজি আছে। তাছাড়া অ্যাকাডেমিক ক্ষেত্রে হৃদপিণ্ডকে হৃদয় লেখা হয়না।
:আপনি মাধ্যমিকের জীববিজ্ঞান বই ডাউনলোড করে সেখানে দেখে পরিভাষাগুলো ব্যবহার করুন। তবে যেগুলোর কোনও বাংলা পরিভাষা ব্যবহৃত হয় না, সেগুলো ইংরেজিতে রাখতে পারেন। আপনি পাঠকের সুবিধার্থে "মহাধমনী বা অ্যাওর্টা"/"মহাধমনী (অ্যাওর্টা)" যেকোনো একভাবে লেখতে পারেন।
:এছাড়াও লেখায় সামান্য যান্ত্রিকতা আছে। Complex and Compound Sentences কে Simple আকারে লিখুন। [[ব্যবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:NusJaS|আলাপ]]) ১০:২৭, ১৩ জুন ২০২৫ (ইউটিসি)
== জাপানের ইতিহাস: পুরাণ থেকে জাতিসত্ত্বা/সংঘর্ষকালীন রাজ্য যুগ ==
ঠিক করা হয়েছে। [[ব্যবহারকারী:Asikur.rahman25|Asikur.rahman25]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:Asikur.rahman25|আলাপ]]) ১৮:৪৯, ১৭ জুন ২০২৫ (ইউটিসি)
n5hxo0eiwg453rp5hturs0okc8ok2qa
ব্যবহারকারী আলাপ:MD Abu Siyam
3
16336
84682
81796
2025-06-17T23:32:18Z
MS Sakib
6561
/* এআই দিয়ে পাতা অনুবাদ প্রসঙ্গে */ উত্তর
84682
wikitext
text/x-wiki
== বাংলা উইকিবইয়ে স্বাগত ==
{{স্বাগত/২য় সংস্করণ}} ১৫:৪০, ১ অক্টোবর ২০২২ (ইউটিসি)
==[[:সাধারণ বলবিজ্ঞান/মুদ্রণ সংস্করণ]] পাতার [[উইকিবই:দ্রুত অপসারণের জন্য বিচারধারা|দ্রুত অপসারণ]] প্রস্তাবনা==
[[চিত্র:Information icon4.svg|48px|left|alt=|link=]]
{{Quote box|quote=<p>এটি যদি উইকিবইয়ে আপনার তৈরি করা প্রথম নিবন্ধ হয়ে থাকে, তবে আপনি উইকিবইতে [[উইকিবই:আপনার প্রথম নিবন্ধ| প্রথম পাতার দিক-নির্দেশনা]] অবশ্যই পাঠ করে নিন।</p><p>আমরা আপনাকে [[উইকিবই:নিবন্ধ উইজার্ড|নিবন্ধ উইজার্ড]] ব্যবহার করে নিবন্ধ তৈরি করতে উৎসাহিত করছি।</p>|width=20%|align=right}}
হ্যালো, উইকিবইয়ে আপনাকে স্বাগতম। আপনাকে এই নোটিশ দেয়া হচ্ছে কারণ আপনি যে পাতাটি তৈরি করেছিলেন তা পরীক্ষামূলক পাতা হিসেবে ট্যাগ করা হয়েছে এবং তা মুছে ফেলা হয়েছে বা খুব শীঘ্রই মুছে ফেলা হবে। পরীক্ষামূলক কিছু করতে চাইলে অনুগ্রহ করে [[Special:MyPage/খেলাঘর|খেলাঘর]] ব্যবহার করুন। আপনি যদি বিশ্বকোষে অবদান রাখা সম্পর্কে আরও জানতে চান তাহলে [[উইকিবই:স্বাগতম, নবাগত|স্বাগতম পাতাটি]] এক নজর দেখে নিন।
আপনি যদি মনে করেন যে এই কারণে এই পাতাটি অপসারণ করা উচিত নয়, তবে এই অপসারণে আপত্তি জানাতে [[:সাধারণ বলবিজ্ঞান/মুদ্রণ সংস্করণ|পাতাটিতে গিয়ে]] "'''দ্রুত অপসারণে আপত্তি জানান'''" লেখার উপর ক্লিক করুন ও সেখানে কারণ ব্যাখ্যা করুন কেন নিবন্ধটি দ্রুত অপসারণ করা উচিত নয়। মনে রাখবেন, কোন নিবন্ধে দ্রুত অপসারণ ট্যাগ করা হলে এবং যদি নিবন্ধটি দ্রুত অপসারণের বিচারাধারার সাথে মিলে যায় তবে কোনও দেরি না করে নিবন্ধটি অপসারণ করা হয়। অনুগ্রহপূর্বক আপনার নিজের তৈরি করা নিবন্ধ থেকে এই বিজ্ঞপ্তিটি সরিয়ে ফেলবেন না, তবে আমরা আপনাকে নিবন্ধটি সম্প্রসারণ করতে উৎসাহিত করছি। আরও মনে রাখবেন যে, পাতার বিষয় অবশ্যই [[উইকিবই:উল্লেখযোগ্যতা|উল্লেখযোগ্য]] হতে হবে এবং [[উইকিবই:নির্ভরযোগ্য উৎস|নির্ভরযোগ্য উৎস]] থেকে তথ্যসূত্রগুলো [[উইকিবই:যাচাইযোগ্যতা|যাচাইযোগ্য]] হওয়া উচিত। যদি ইতিমধ্যে নিবন্ধটি অপসারিত হয়ে থাকে এবং আপনি ভবিষ্যতে এটির উন্নতি করতে এর বিষয়বস্তু ফেরত পেতে চান, তবে দয়া করে যে প্রশাসক এটি অপসারণ করেছেন {{কোয়েরিসংযোগ|Special:Log|qs=type=delete&page=%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A3+%E0%A6%AC%E0%A6%B2%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%9E%E0%A6%BE%E0%A6%A8%2F%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A3+%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A6%A3|তার সাথে যোগাযোগ করুন}}। <!-- টেমপ্লেট:Db-test-notice --> <!-- টেমপ্লেট:Db-csd-notice-custom --> [[ব্যবহারকারী:Md Mobashir Hossain|Md Mobashir Hossain]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:Md Mobashir Hossain|আলাপ]]) ১৩:২৭, ১১ মে ২০২৫ (ইউটিসি)
== এআই দিয়ে পাতা অনুবাদ প্রসঙ্গে ==
ভাই, এআই দিয়ে পাতা অনুবাদের সময় এআই কোন পরিবর্তন সাধন করছে কি না তা খেয়াল রাখবেন। [[মাধ্যমিক পদার্থবিজ্ঞান/শক্তি]] পাতায় ভুলের জন্য আপনাকে সতর্ক করা হচ্ছে। এ রকম ভুল পাঁচবার বা তার বেশি হলে আপনাকে এই নির্দিষ্ট প্রতিযোগিতা থেকে নিষিদ্ধ করা হবে এবং আপনার অবদান আর মূল্যায়নের জন্য গ্রহণযোগ্য হবে না। বিস্তারিত দেখুন [[উইকিবই:উইকিবই লিখন প্রতিযোগিতা ২০২৫/পর্যালোচনা নীতিমালা|এখানে]]। [[ব্যবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:Ishtiak Abdullah|আলাপ]]) ১৭:৪২, ৩ জুন ২০২৫ (ইউটিসি)
:দুঃখিত, এটি কবে জমা দিয়েছিলাম আমার খেয়াল নেই। ভুলবশতই পরিবর্তনের আগে জমা পড়েছে [[ব্যবহারকারী:MD Abu Siyam|MD Abu Siyam]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:MD Abu Siyam|আলাপ]]) ১৮:৪০, ৩ জুন ২০২৫ (ইউটিসি)
::@[[ব্যবহারকারী:MD Abu Siyam|MD Abu Siyam]] [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/মৌলিক একক]] {{লাল|পুনরায় AI ব্যবহার বিষয়ক সতর্কতা}}। ≈ <b style="border:1.5px solid #736AFF;font-family:georgia;font-variant:small-caps">[[User:MS_Sakib|<b style="background-color:#FBB117;color:#7E2217">MS Sakib </b>]][[User talk:MS Sakib| «আলাপ»]]</b> ২৩:৩২, ১৭ জুন ২০২৫ (ইউটিসি)
3ubrpa4s8o6amhp7rtn8njlpp8ladac
84683
84682
2025-06-17T23:34:02Z
MS Sakib
6561
/* এআই দিয়ে পাতা অনুবাদ প্রসঙ্গে */ উত্তর
84683
wikitext
text/x-wiki
== বাংলা উইকিবইয়ে স্বাগত ==
{{স্বাগত/২য় সংস্করণ}} ১৫:৪০, ১ অক্টোবর ২০২২ (ইউটিসি)
==[[:সাধারণ বলবিজ্ঞান/মুদ্রণ সংস্করণ]] পাতার [[উইকিবই:দ্রুত অপসারণের জন্য বিচারধারা|দ্রুত অপসারণ]] প্রস্তাবনা==
[[চিত্র:Information icon4.svg|48px|left|alt=|link=]]
{{Quote box|quote=<p>এটি যদি উইকিবইয়ে আপনার তৈরি করা প্রথম নিবন্ধ হয়ে থাকে, তবে আপনি উইকিবইতে [[উইকিবই:আপনার প্রথম নিবন্ধ| প্রথম পাতার দিক-নির্দেশনা]] অবশ্যই পাঠ করে নিন।</p><p>আমরা আপনাকে [[উইকিবই:নিবন্ধ উইজার্ড|নিবন্ধ উইজার্ড]] ব্যবহার করে নিবন্ধ তৈরি করতে উৎসাহিত করছি।</p>|width=20%|align=right}}
হ্যালো, উইকিবইয়ে আপনাকে স্বাগতম। আপনাকে এই নোটিশ দেয়া হচ্ছে কারণ আপনি যে পাতাটি তৈরি করেছিলেন তা পরীক্ষামূলক পাতা হিসেবে ট্যাগ করা হয়েছে এবং তা মুছে ফেলা হয়েছে বা খুব শীঘ্রই মুছে ফেলা হবে। পরীক্ষামূলক কিছু করতে চাইলে অনুগ্রহ করে [[Special:MyPage/খেলাঘর|খেলাঘর]] ব্যবহার করুন। আপনি যদি বিশ্বকোষে অবদান রাখা সম্পর্কে আরও জানতে চান তাহলে [[উইকিবই:স্বাগতম, নবাগত|স্বাগতম পাতাটি]] এক নজর দেখে নিন।
আপনি যদি মনে করেন যে এই কারণে এই পাতাটি অপসারণ করা উচিত নয়, তবে এই অপসারণে আপত্তি জানাতে [[:সাধারণ বলবিজ্ঞান/মুদ্রণ সংস্করণ|পাতাটিতে গিয়ে]] "'''দ্রুত অপসারণে আপত্তি জানান'''" লেখার উপর ক্লিক করুন ও সেখানে কারণ ব্যাখ্যা করুন কেন নিবন্ধটি দ্রুত অপসারণ করা উচিত নয়। মনে রাখবেন, কোন নিবন্ধে দ্রুত অপসারণ ট্যাগ করা হলে এবং যদি নিবন্ধটি দ্রুত অপসারণের বিচারাধারার সাথে মিলে যায় তবে কোনও দেরি না করে নিবন্ধটি অপসারণ করা হয়। অনুগ্রহপূর্বক আপনার নিজের তৈরি করা নিবন্ধ থেকে এই বিজ্ঞপ্তিটি সরিয়ে ফেলবেন না, তবে আমরা আপনাকে নিবন্ধটি সম্প্রসারণ করতে উৎসাহিত করছি। আরও মনে রাখবেন যে, পাতার বিষয় অবশ্যই [[উইকিবই:উল্লেখযোগ্যতা|উল্লেখযোগ্য]] হতে হবে এবং [[উইকিবই:নির্ভরযোগ্য উৎস|নির্ভরযোগ্য উৎস]] থেকে তথ্যসূত্রগুলো [[উইকিবই:যাচাইযোগ্যতা|যাচাইযোগ্য]] হওয়া উচিত। যদি ইতিমধ্যে নিবন্ধটি অপসারিত হয়ে থাকে এবং আপনি ভবিষ্যতে এটির উন্নতি করতে এর বিষয়বস্তু ফেরত পেতে চান, তবে দয়া করে যে প্রশাসক এটি অপসারণ করেছেন {{কোয়েরিসংযোগ|Special:Log|qs=type=delete&page=%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A3+%E0%A6%AC%E0%A6%B2%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%9E%E0%A6%BE%E0%A6%A8%2F%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A3+%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A6%A3|তার সাথে যোগাযোগ করুন}}। <!-- টেমপ্লেট:Db-test-notice --> <!-- টেমপ্লেট:Db-csd-notice-custom --> [[ব্যবহারকারী:Md Mobashir Hossain|Md Mobashir Hossain]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:Md Mobashir Hossain|আলাপ]]) ১৩:২৭, ১১ মে ২০২৫ (ইউটিসি)
== এআই দিয়ে পাতা অনুবাদ প্রসঙ্গে ==
ভাই, এআই দিয়ে পাতা অনুবাদের সময় এআই কোন পরিবর্তন সাধন করছে কি না তা খেয়াল রাখবেন। [[মাধ্যমিক পদার্থবিজ্ঞান/শক্তি]] পাতায় ভুলের জন্য আপনাকে সতর্ক করা হচ্ছে। এ রকম ভুল পাঁচবার বা তার বেশি হলে আপনাকে এই নির্দিষ্ট প্রতিযোগিতা থেকে নিষিদ্ধ করা হবে এবং আপনার অবদান আর মূল্যায়নের জন্য গ্রহণযোগ্য হবে না। বিস্তারিত দেখুন [[উইকিবই:উইকিবই লিখন প্রতিযোগিতা ২০২৫/পর্যালোচনা নীতিমালা|এখানে]]। [[ব্যবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:Ishtiak Abdullah|আলাপ]]) ১৭:৪২, ৩ জুন ২০২৫ (ইউটিসি)
:দুঃখিত, এটি কবে জমা দিয়েছিলাম আমার খেয়াল নেই। ভুলবশতই পরিবর্তনের আগে জমা পড়েছে [[ব্যবহারকারী:MD Abu Siyam|MD Abu Siyam]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:MD Abu Siyam|আলাপ]]) ১৮:৪০, ৩ জুন ২০২৫ (ইউটিসি)
::@[[ব্যবহারকারী:MD Abu Siyam|MD Abu Siyam]] [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/মৌলিক একক]] {{লাল|পুনরায় AI ব্যবহার বিষয়ক সতর্কতা}}। ≈ <b style="border:1.5px solid #736AFF;font-family:georgia;font-variant:small-caps">[[User:MS_Sakib|<b style="background-color:#FBB117;color:#7E2217">MS Sakib </b>]][[User talk:MS Sakib| «আলাপ»]]</b> ২৩:৩২, ১৭ জুন ২০২৫ (ইউটিসি)
:::[[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/কভার]]: "সৌন্দর্য{{লাল|欣ু}}প্তি "?
:::পুনরায় {{লাল|'''AI ব্যবহার''' বিষয়ক সতর্কতা}}। ≈ <b style="border:1.5px solid #736AFF;font-family:georgia;font-variant:small-caps">[[User:MS_Sakib|<b style="background-color:#FBB117;color:#7E2217">MS Sakib </b>]][[User talk:MS Sakib| «আলাপ»]]</b> ২৩:৩৪, ১৭ জুন ২০২৫ (ইউটিসি)
0p0fqup7lrip60sxuj1qdzwnpt7mas6
84691
84683
2025-06-17T23:43:00Z
MS Sakib
6561
/* এআই দিয়ে পাতা অনুবাদ প্রসঙ্গে */ উত্তর
84691
wikitext
text/x-wiki
== বাংলা উইকিবইয়ে স্বাগত ==
{{স্বাগত/২য় সংস্করণ}} ১৫:৪০, ১ অক্টোবর ২০২২ (ইউটিসি)
==[[:সাধারণ বলবিজ্ঞান/মুদ্রণ সংস্করণ]] পাতার [[উইকিবই:দ্রুত অপসারণের জন্য বিচারধারা|দ্রুত অপসারণ]] প্রস্তাবনা==
[[চিত্র:Information icon4.svg|48px|left|alt=|link=]]
{{Quote box|quote=<p>এটি যদি উইকিবইয়ে আপনার তৈরি করা প্রথম নিবন্ধ হয়ে থাকে, তবে আপনি উইকিবইতে [[উইকিবই:আপনার প্রথম নিবন্ধ| প্রথম পাতার দিক-নির্দেশনা]] অবশ্যই পাঠ করে নিন।</p><p>আমরা আপনাকে [[উইকিবই:নিবন্ধ উইজার্ড|নিবন্ধ উইজার্ড]] ব্যবহার করে নিবন্ধ তৈরি করতে উৎসাহিত করছি।</p>|width=20%|align=right}}
হ্যালো, উইকিবইয়ে আপনাকে স্বাগতম। আপনাকে এই নোটিশ দেয়া হচ্ছে কারণ আপনি যে পাতাটি তৈরি করেছিলেন তা পরীক্ষামূলক পাতা হিসেবে ট্যাগ করা হয়েছে এবং তা মুছে ফেলা হয়েছে বা খুব শীঘ্রই মুছে ফেলা হবে। পরীক্ষামূলক কিছু করতে চাইলে অনুগ্রহ করে [[Special:MyPage/খেলাঘর|খেলাঘর]] ব্যবহার করুন। আপনি যদি বিশ্বকোষে অবদান রাখা সম্পর্কে আরও জানতে চান তাহলে [[উইকিবই:স্বাগতম, নবাগত|স্বাগতম পাতাটি]] এক নজর দেখে নিন।
আপনি যদি মনে করেন যে এই কারণে এই পাতাটি অপসারণ করা উচিত নয়, তবে এই অপসারণে আপত্তি জানাতে [[:সাধারণ বলবিজ্ঞান/মুদ্রণ সংস্করণ|পাতাটিতে গিয়ে]] "'''দ্রুত অপসারণে আপত্তি জানান'''" লেখার উপর ক্লিক করুন ও সেখানে কারণ ব্যাখ্যা করুন কেন নিবন্ধটি দ্রুত অপসারণ করা উচিত নয়। মনে রাখবেন, কোন নিবন্ধে দ্রুত অপসারণ ট্যাগ করা হলে এবং যদি নিবন্ধটি দ্রুত অপসারণের বিচারাধারার সাথে মিলে যায় তবে কোনও দেরি না করে নিবন্ধটি অপসারণ করা হয়। অনুগ্রহপূর্বক আপনার নিজের তৈরি করা নিবন্ধ থেকে এই বিজ্ঞপ্তিটি সরিয়ে ফেলবেন না, তবে আমরা আপনাকে নিবন্ধটি সম্প্রসারণ করতে উৎসাহিত করছি। আরও মনে রাখবেন যে, পাতার বিষয় অবশ্যই [[উইকিবই:উল্লেখযোগ্যতা|উল্লেখযোগ্য]] হতে হবে এবং [[উইকিবই:নির্ভরযোগ্য উৎস|নির্ভরযোগ্য উৎস]] থেকে তথ্যসূত্রগুলো [[উইকিবই:যাচাইযোগ্যতা|যাচাইযোগ্য]] হওয়া উচিত। যদি ইতিমধ্যে নিবন্ধটি অপসারিত হয়ে থাকে এবং আপনি ভবিষ্যতে এটির উন্নতি করতে এর বিষয়বস্তু ফেরত পেতে চান, তবে দয়া করে যে প্রশাসক এটি অপসারণ করেছেন {{কোয়েরিসংযোগ|Special:Log|qs=type=delete&page=%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A3+%E0%A6%AC%E0%A6%B2%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%9E%E0%A6%BE%E0%A6%A8%2F%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A3+%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A6%A3|তার সাথে যোগাযোগ করুন}}। <!-- টেমপ্লেট:Db-test-notice --> <!-- টেমপ্লেট:Db-csd-notice-custom --> [[ব্যবহারকারী:Md Mobashir Hossain|Md Mobashir Hossain]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:Md Mobashir Hossain|আলাপ]]) ১৩:২৭, ১১ মে ২০২৫ (ইউটিসি)
== এআই দিয়ে পাতা অনুবাদ প্রসঙ্গে ==
ভাই, এআই দিয়ে পাতা অনুবাদের সময় এআই কোন পরিবর্তন সাধন করছে কি না তা খেয়াল রাখবেন। [[মাধ্যমিক পদার্থবিজ্ঞান/শক্তি]] পাতায় ভুলের জন্য আপনাকে সতর্ক করা হচ্ছে। এ রকম ভুল পাঁচবার বা তার বেশি হলে আপনাকে এই নির্দিষ্ট প্রতিযোগিতা থেকে নিষিদ্ধ করা হবে এবং আপনার অবদান আর মূল্যায়নের জন্য গ্রহণযোগ্য হবে না। বিস্তারিত দেখুন [[উইকিবই:উইকিবই লিখন প্রতিযোগিতা ২০২৫/পর্যালোচনা নীতিমালা|এখানে]]। [[ব্যবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:Ishtiak Abdullah|আলাপ]]) ১৭:৪২, ৩ জুন ২০২৫ (ইউটিসি)
:দুঃখিত, এটি কবে জমা দিয়েছিলাম আমার খেয়াল নেই। ভুলবশতই পরিবর্তনের আগে জমা পড়েছে [[ব্যবহারকারী:MD Abu Siyam|MD Abu Siyam]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:MD Abu Siyam|আলাপ]]) ১৮:৪০, ৩ জুন ২০২৫ (ইউটিসি)
::@[[ব্যবহারকারী:MD Abu Siyam|MD Abu Siyam]] [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/মৌলিক একক]] {{লাল|পুনরায় AI ব্যবহার বিষয়ক সতর্কতা}}। ≈ <b style="border:1.5px solid #736AFF;font-family:georgia;font-variant:small-caps">[[User:MS_Sakib|<b style="background-color:#FBB117;color:#7E2217">MS Sakib </b>]][[User talk:MS Sakib| «আলাপ»]]</b> ২৩:৩২, ১৭ জুন ২০২৫ (ইউটিসি)
:::[[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/কভার]]: "সৌন্দর্য{{লাল|欣ু}}প্তি "?
:::পুনরায় {{লাল|'''AI ব্যবহার''' বিষয়ক সতর্কতা}}। ≈ <b style="border:1.5px solid #736AFF;font-family:georgia;font-variant:small-caps">[[User:MS_Sakib|<b style="background-color:#FBB117;color:#7E2217">MS Sakib </b>]][[User talk:MS Sakib| «আলাপ»]]</b> ২৩:৩৪, ১৭ জুন ২০২৫ (ইউটিসি)
::::[[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/হারমোনিক তৈরি]] ≈ <b style="border:1.5px solid #736AFF;font-family:georgia;font-variant:small-caps">[[User:MS_Sakib|<b style="background-color:#FBB117;color:#7E2217">MS Sakib </b>]][[User talk:MS Sakib| «আলাপ»]]</b> ২৩:৪৩, ১৭ জুন ২০২৫ (ইউটিসি)
bj2310rt3obf6uq6v2dhb2tdulelilv
84773
84691
2025-06-18T05:47:26Z
MdsShakil
7280
/* এআই দিয়ে পাতা অনুবাদ প্রসঙ্গে */
84773
wikitext
text/x-wiki
== বাংলা উইকিবইয়ে স্বাগত ==
{{স্বাগত/২য় সংস্করণ}} ১৫:৪০, ১ অক্টোবর ২০২২ (ইউটিসি)
==[[:সাধারণ বলবিজ্ঞান/মুদ্রণ সংস্করণ]] পাতার [[উইকিবই:দ্রুত অপসারণের জন্য বিচারধারা|দ্রুত অপসারণ]] প্রস্তাবনা==
[[চিত্র:Information icon4.svg|48px|left|alt=|link=]]
{{Quote box|quote=<p>এটি যদি উইকিবইয়ে আপনার তৈরি করা প্রথম নিবন্ধ হয়ে থাকে, তবে আপনি উইকিবইতে [[উইকিবই:আপনার প্রথম নিবন্ধ| প্রথম পাতার দিক-নির্দেশনা]] অবশ্যই পাঠ করে নিন।</p><p>আমরা আপনাকে [[উইকিবই:নিবন্ধ উইজার্ড|নিবন্ধ উইজার্ড]] ব্যবহার করে নিবন্ধ তৈরি করতে উৎসাহিত করছি।</p>|width=20%|align=right}}
হ্যালো, উইকিবইয়ে আপনাকে স্বাগতম। আপনাকে এই নোটিশ দেয়া হচ্ছে কারণ আপনি যে পাতাটি তৈরি করেছিলেন তা পরীক্ষামূলক পাতা হিসেবে ট্যাগ করা হয়েছে এবং তা মুছে ফেলা হয়েছে বা খুব শীঘ্রই মুছে ফেলা হবে। পরীক্ষামূলক কিছু করতে চাইলে অনুগ্রহ করে [[Special:MyPage/খেলাঘর|খেলাঘর]] ব্যবহার করুন। আপনি যদি বিশ্বকোষে অবদান রাখা সম্পর্কে আরও জানতে চান তাহলে [[উইকিবই:স্বাগতম, নবাগত|স্বাগতম পাতাটি]] এক নজর দেখে নিন।
আপনি যদি মনে করেন যে এই কারণে এই পাতাটি অপসারণ করা উচিত নয়, তবে এই অপসারণে আপত্তি জানাতে [[:সাধারণ বলবিজ্ঞান/মুদ্রণ সংস্করণ|পাতাটিতে গিয়ে]] "'''দ্রুত অপসারণে আপত্তি জানান'''" লেখার উপর ক্লিক করুন ও সেখানে কারণ ব্যাখ্যা করুন কেন নিবন্ধটি দ্রুত অপসারণ করা উচিত নয়। মনে রাখবেন, কোন নিবন্ধে দ্রুত অপসারণ ট্যাগ করা হলে এবং যদি নিবন্ধটি দ্রুত অপসারণের বিচারাধারার সাথে মিলে যায় তবে কোনও দেরি না করে নিবন্ধটি অপসারণ করা হয়। অনুগ্রহপূর্বক আপনার নিজের তৈরি করা নিবন্ধ থেকে এই বিজ্ঞপ্তিটি সরিয়ে ফেলবেন না, তবে আমরা আপনাকে নিবন্ধটি সম্প্রসারণ করতে উৎসাহিত করছি। আরও মনে রাখবেন যে, পাতার বিষয় অবশ্যই [[উইকিবই:উল্লেখযোগ্যতা|উল্লেখযোগ্য]] হতে হবে এবং [[উইকিবই:নির্ভরযোগ্য উৎস|নির্ভরযোগ্য উৎস]] থেকে তথ্যসূত্রগুলো [[উইকিবই:যাচাইযোগ্যতা|যাচাইযোগ্য]] হওয়া উচিত। যদি ইতিমধ্যে নিবন্ধটি অপসারিত হয়ে থাকে এবং আপনি ভবিষ্যতে এটির উন্নতি করতে এর বিষয়বস্তু ফেরত পেতে চান, তবে দয়া করে যে প্রশাসক এটি অপসারণ করেছেন {{কোয়েরিসংযোগ|Special:Log|qs=type=delete&page=%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A3+%E0%A6%AC%E0%A6%B2%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%9E%E0%A6%BE%E0%A6%A8%2F%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A3+%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A6%A3|তার সাথে যোগাযোগ করুন}}। <!-- টেমপ্লেট:Db-test-notice --> <!-- টেমপ্লেট:Db-csd-notice-custom --> [[ব্যবহারকারী:Md Mobashir Hossain|Md Mobashir Hossain]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:Md Mobashir Hossain|আলাপ]]) ১৩:২৭, ১১ মে ২০২৫ (ইউটিসি)
== এআই দিয়ে পাতা অনুবাদ প্রসঙ্গে ==
ভাই, এআই দিয়ে পাতা অনুবাদের সময় এআই কোন পরিবর্তন সাধন করছে কি না তা খেয়াল রাখবেন। [[মাধ্যমিক পদার্থবিজ্ঞান/শক্তি]] পাতায় ভুলের জন্য আপনাকে সতর্ক করা হচ্ছে। এ রকম ভুল পাঁচবার বা তার বেশি হলে আপনাকে এই নির্দিষ্ট প্রতিযোগিতা থেকে নিষিদ্ধ করা হবে এবং আপনার অবদান আর মূল্যায়নের জন্য গ্রহণযোগ্য হবে না। বিস্তারিত দেখুন [[উইকিবই:উইকিবই লিখন প্রতিযোগিতা ২০২৫/পর্যালোচনা নীতিমালা|এখানে]]। [[ব্যবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:Ishtiak Abdullah|আলাপ]]) ১৭:৪২, ৩ জুন ২০২৫ (ইউটিসি)
:দুঃখিত, এটি কবে জমা দিয়েছিলাম আমার খেয়াল নেই। ভুলবশতই পরিবর্তনের আগে জমা পড়েছে [[ব্যবহারকারী:MD Abu Siyam|MD Abu Siyam]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:MD Abu Siyam|আলাপ]]) ১৮:৪০, ৩ জুন ২০২৫ (ইউটিসি)
::@[[ব্যবহারকারী:MD Abu Siyam|MD Abu Siyam]] [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/মৌলিক একক]] {{লাল|পুনরায় AI ব্যবহার বিষয়ক সতর্কতা}}। ≈ <b style="border:1.5px solid #736AFF;font-family:georgia;font-variant:small-caps">[[User:MS_Sakib|<b style="background-color:#FBB117;color:#7E2217">MS Sakib </b>]][[User talk:MS Sakib| «আলাপ»]]</b> ২৩:৩২, ১৭ জুন ২০২৫ (ইউটিসি)
:::[[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/কভার]]: "সৌন্দর্য{{লাল|欣ু}}প্তি "?
:::পুনরায় {{লাল|'''AI ব্যবহার''' বিষয়ক সতর্কতা}}। ≈ <b style="border:1.5px solid #736AFF;font-family:georgia;font-variant:small-caps">[[User:MS_Sakib|<b style="background-color:#FBB117;color:#7E2217">MS Sakib </b>]][[User talk:MS Sakib| «আলাপ»]]</b> ২৩:৩৪, ১৭ জুন ২০২৫ (ইউটিসি)
::::[[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/হারমোনিক তৈরি]] ≈ <b style="border:1.5px solid #736AFF;font-family:georgia;font-variant:small-caps">[[User:MS_Sakib|<b style="background-color:#FBB117;color:#7E2217">MS Sakib </b>]][[User talk:MS Sakib| «আলাপ»]]</b> ২৩:৪৩, ১৭ জুন ২০২৫ (ইউটিসি)
== প্রতিযোগিতায় আপনার তৈরি আর কোনো পাতা পর্যালোচনা করা হবে না ==
আপনি রন্ধনপ্রণালী নামস্থান ও অন্যান নাম স্থানে পাতা অনুবাদ করার সময় এআই ব্যবহার করেছেন এবং অনুবাদ/পাতাগুলো কোনোরূপ সংশোধন না করেই জমা দিয়েছেন। একই কাজ আপনি উইকিউক্তি প্রতিযোগিতায়ও করেছিলেন এবং সেখানে আপনাকে প্রতিযোগিতা থেকে বহিস্কার করা হয়েছিলো। আমরা আপনাকে এই প্রতিযোগিতায় একেবারে বহিস্কার করছি না তবে আয়োজক দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আপনার তৈরি পাতাগুলো, যেগুলো এখন পর্যন্ত পর্যালোচনা করা হয়নি, সেগুলো '''{{লাল|আর পর্যালোচনা করা হবে না}}'''। পাতাগুলো '''{{লাল|গৃহীত হয়নি}}''' বলে চিহ্নিত করা হবে। ভবিষ্যত প্রতিযোগিতায় এইরূপ অপব্যবহার চিহ্নিত হলে, আপনাকে প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া থেকে চূড়ান্তভাবে নিষিদ্ধ করা হতে পারে। —[[ব্যবহারকারী:MdsShakil|শাকিল]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:MdsShakil|আলাপ]]) ০৫:৪৭, ১৮ জুন ২০২৫ (ইউটিসি)
sxhvsqz21jp1zw9fv2sfnq3a2c4fak4
84774
84773
2025-06-18T05:50:27Z
MD Abu Siyam
8392
/* প্রতিযোগিতায় আপনার তৈরি আর কোনো পাতা পর্যালোচনা করা হবে না */ উত্তর
84774
wikitext
text/x-wiki
== বাংলা উইকিবইয়ে স্বাগত ==
{{স্বাগত/২য় সংস্করণ}} ১৫:৪০, ১ অক্টোবর ২০২২ (ইউটিসি)
==[[:সাধারণ বলবিজ্ঞান/মুদ্রণ সংস্করণ]] পাতার [[উইকিবই:দ্রুত অপসারণের জন্য বিচারধারা|দ্রুত অপসারণ]] প্রস্তাবনা==
[[চিত্র:Information icon4.svg|48px|left|alt=|link=]]
{{Quote box|quote=<p>এটি যদি উইকিবইয়ে আপনার তৈরি করা প্রথম নিবন্ধ হয়ে থাকে, তবে আপনি উইকিবইতে [[উইকিবই:আপনার প্রথম নিবন্ধ| প্রথম পাতার দিক-নির্দেশনা]] অবশ্যই পাঠ করে নিন।</p><p>আমরা আপনাকে [[উইকিবই:নিবন্ধ উইজার্ড|নিবন্ধ উইজার্ড]] ব্যবহার করে নিবন্ধ তৈরি করতে উৎসাহিত করছি।</p>|width=20%|align=right}}
হ্যালো, উইকিবইয়ে আপনাকে স্বাগতম। আপনাকে এই নোটিশ দেয়া হচ্ছে কারণ আপনি যে পাতাটি তৈরি করেছিলেন তা পরীক্ষামূলক পাতা হিসেবে ট্যাগ করা হয়েছে এবং তা মুছে ফেলা হয়েছে বা খুব শীঘ্রই মুছে ফেলা হবে। পরীক্ষামূলক কিছু করতে চাইলে অনুগ্রহ করে [[Special:MyPage/খেলাঘর|খেলাঘর]] ব্যবহার করুন। আপনি যদি বিশ্বকোষে অবদান রাখা সম্পর্কে আরও জানতে চান তাহলে [[উইকিবই:স্বাগতম, নবাগত|স্বাগতম পাতাটি]] এক নজর দেখে নিন।
আপনি যদি মনে করেন যে এই কারণে এই পাতাটি অপসারণ করা উচিত নয়, তবে এই অপসারণে আপত্তি জানাতে [[:সাধারণ বলবিজ্ঞান/মুদ্রণ সংস্করণ|পাতাটিতে গিয়ে]] "'''দ্রুত অপসারণে আপত্তি জানান'''" লেখার উপর ক্লিক করুন ও সেখানে কারণ ব্যাখ্যা করুন কেন নিবন্ধটি দ্রুত অপসারণ করা উচিত নয়। মনে রাখবেন, কোন নিবন্ধে দ্রুত অপসারণ ট্যাগ করা হলে এবং যদি নিবন্ধটি দ্রুত অপসারণের বিচারাধারার সাথে মিলে যায় তবে কোনও দেরি না করে নিবন্ধটি অপসারণ করা হয়। অনুগ্রহপূর্বক আপনার নিজের তৈরি করা নিবন্ধ থেকে এই বিজ্ঞপ্তিটি সরিয়ে ফেলবেন না, তবে আমরা আপনাকে নিবন্ধটি সম্প্রসারণ করতে উৎসাহিত করছি। আরও মনে রাখবেন যে, পাতার বিষয় অবশ্যই [[উইকিবই:উল্লেখযোগ্যতা|উল্লেখযোগ্য]] হতে হবে এবং [[উইকিবই:নির্ভরযোগ্য উৎস|নির্ভরযোগ্য উৎস]] থেকে তথ্যসূত্রগুলো [[উইকিবই:যাচাইযোগ্যতা|যাচাইযোগ্য]] হওয়া উচিত। যদি ইতিমধ্যে নিবন্ধটি অপসারিত হয়ে থাকে এবং আপনি ভবিষ্যতে এটির উন্নতি করতে এর বিষয়বস্তু ফেরত পেতে চান, তবে দয়া করে যে প্রশাসক এটি অপসারণ করেছেন {{কোয়েরিসংযোগ|Special:Log|qs=type=delete&page=%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A3+%E0%A6%AC%E0%A6%B2%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%9E%E0%A6%BE%E0%A6%A8%2F%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A3+%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A6%A3|তার সাথে যোগাযোগ করুন}}। <!-- টেমপ্লেট:Db-test-notice --> <!-- টেমপ্লেট:Db-csd-notice-custom --> [[ব্যবহারকারী:Md Mobashir Hossain|Md Mobashir Hossain]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:Md Mobashir Hossain|আলাপ]]) ১৩:২৭, ১১ মে ২০২৫ (ইউটিসি)
== এআই দিয়ে পাতা অনুবাদ প্রসঙ্গে ==
ভাই, এআই দিয়ে পাতা অনুবাদের সময় এআই কোন পরিবর্তন সাধন করছে কি না তা খেয়াল রাখবেন। [[মাধ্যমিক পদার্থবিজ্ঞান/শক্তি]] পাতায় ভুলের জন্য আপনাকে সতর্ক করা হচ্ছে। এ রকম ভুল পাঁচবার বা তার বেশি হলে আপনাকে এই নির্দিষ্ট প্রতিযোগিতা থেকে নিষিদ্ধ করা হবে এবং আপনার অবদান আর মূল্যায়নের জন্য গ্রহণযোগ্য হবে না। বিস্তারিত দেখুন [[উইকিবই:উইকিবই লিখন প্রতিযোগিতা ২০২৫/পর্যালোচনা নীতিমালা|এখানে]]। [[ব্যবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:Ishtiak Abdullah|আলাপ]]) ১৭:৪২, ৩ জুন ২০২৫ (ইউটিসি)
:দুঃখিত, এটি কবে জমা দিয়েছিলাম আমার খেয়াল নেই। ভুলবশতই পরিবর্তনের আগে জমা পড়েছে [[ব্যবহারকারী:MD Abu Siyam|MD Abu Siyam]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:MD Abu Siyam|আলাপ]]) ১৮:৪০, ৩ জুন ২০২৫ (ইউটিসি)
::@[[ব্যবহারকারী:MD Abu Siyam|MD Abu Siyam]] [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/মৌলিক একক]] {{লাল|পুনরায় AI ব্যবহার বিষয়ক সতর্কতা}}। ≈ <b style="border:1.5px solid #736AFF;font-family:georgia;font-variant:small-caps">[[User:MS_Sakib|<b style="background-color:#FBB117;color:#7E2217">MS Sakib </b>]][[User talk:MS Sakib| «আলাপ»]]</b> ২৩:৩২, ১৭ জুন ২০২৫ (ইউটিসি)
:::[[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/কভার]]: "সৌন্দর্য{{লাল|欣ু}}প্তি "?
:::পুনরায় {{লাল|'''AI ব্যবহার''' বিষয়ক সতর্কতা}}। ≈ <b style="border:1.5px solid #736AFF;font-family:georgia;font-variant:small-caps">[[User:MS_Sakib|<b style="background-color:#FBB117;color:#7E2217">MS Sakib </b>]][[User talk:MS Sakib| «আলাপ»]]</b> ২৩:৩৪, ১৭ জুন ২০২৫ (ইউটিসি)
::::[[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/হারমোনিক তৈরি]] ≈ <b style="border:1.5px solid #736AFF;font-family:georgia;font-variant:small-caps">[[User:MS_Sakib|<b style="background-color:#FBB117;color:#7E2217">MS Sakib </b>]][[User talk:MS Sakib| «আলাপ»]]</b> ২৩:৪৩, ১৭ জুন ২০২৫ (ইউটিসি)
== প্রতিযোগিতায় আপনার তৈরি আর কোনো পাতা পর্যালোচনা করা হবে না ==
আপনি রন্ধনপ্রণালী নামস্থান ও অন্যান নাম স্থানে পাতা অনুবাদ করার সময় এআই ব্যবহার করেছেন এবং অনুবাদ/পাতাগুলো কোনোরূপ সংশোধন না করেই জমা দিয়েছেন। একই কাজ আপনি উইকিউক্তি প্রতিযোগিতায়ও করেছিলেন এবং সেখানে আপনাকে প্রতিযোগিতা থেকে বহিস্কার করা হয়েছিলো। আমরা আপনাকে এই প্রতিযোগিতায় একেবারে বহিস্কার করছি না তবে আয়োজক দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আপনার তৈরি পাতাগুলো, যেগুলো এখন পর্যন্ত পর্যালোচনা করা হয়নি, সেগুলো '''{{লাল|আর পর্যালোচনা করা হবে না}}'''। পাতাগুলো '''{{লাল|গৃহীত হয়নি}}''' বলে চিহ্নিত করা হবে। ভবিষ্যত প্রতিযোগিতায় এইরূপ অপব্যবহার চিহ্নিত হলে, আপনাকে প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া থেকে চূড়ান্তভাবে নিষিদ্ধ করা হতে পারে। —[[ব্যবহারকারী:MdsShakil|শাকিল]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:MdsShakil|আলাপ]]) ০৫:৪৭, ১৮ জুন ২০২৫ (ইউটিসি)
:যেসকল নিবন্ধে সমস্যা রয়েছে, সেগুলো ঠিক করে পুনরায় পর্যালোচনার জন্য জমা দেওয়া যাবে কিনা? [[ব্যবহারকারী:MD Abu Siyam|MD Abu Siyam]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:MD Abu Siyam|আলাপ]]) ০৫:৫০, ১৮ জুন ২০২৫ (ইউটিসি)
2g3s5pemt554qwlsxs033agqxlm037y
ব্যবহারকারী:R1F4T/খেলাঘর
2
18619
84775
84641
2025-06-18T06:17:18Z
R1F4T
9121
84775
wikitext
text/x-wiki
;পর্যালোচনা পরিসংখ্যান
{| class="wikitable sortable"
! # !! পর্যালোচক !! পর্যালোচনা সংখ্যা
|-
| ১ || MdsShakil || ২৪৪
|-
| ২ || MS Sakib || ১৭৬ (৩)
|-
| ৩ || NusJaS || ১৩৩ (১৮)
|-
| ৪ || Tahmid || ১১২
|-
| ৫ || Mehedi Abedin || ১০০ (২)
|-
| ৬ || R1F4T || ৯৩ (১)
|-
| ৭ || Yahya || ৮৬
|-
| ৮ || Ishtiak Abdullah || ৫৭ (৭)
|-
| ৯ || Maruf || ৪
|}
kzyygl9p6i960d1giaozdkk2lg3kytc
84776
84775
2025-06-18T06:31:39Z
R1F4T
9121
84776
wikitext
text/x-wiki
;পর্যালোচনা পরিসংখ্যান
{| class="wikitable sortable"
! # !! পর্যালোচক !! পর্যালোচনা সংখ্যা
|-
| ১ || MdsShakil || ২৪৪
|-
| ২ || MS Sakib || ১৭৬ (৩)
|-
| ৩ || NusJaS || ১৩৩ (১৮)
|-
| ৪ || Yahya || ১১৭
|-
| ৫ || Tahmid || ১১২
|-
| ৬ || R1F4T || ১০১ (১)
|-
| ৭ || Mehedi Abedin || ১০০ (২)
|-
| ৮ || Ishtiak Abdullah || ৫৭ (৭)
|-
| ৯ || Maruf || ৪
|}
l7izmq2x7nw397xradz4kqgoalioub5
84777
84776
2025-06-18T06:48:22Z
R1F4T
9121
84777
wikitext
text/x-wiki
;পর্যালোচনা পরিসংখ্যান
{| class="wikitable sortable"
! # !! পর্যালোচক !! পর্যালোচনা সংখ্যা
|-
| ১ || MdsShakil || ২৪৪
|-
| ২ || MS Sakib || ১৭৬ (৩)
|-
| ৩ || Yahya || ১৩৫
|-
| ৪ || NusJaS || ১৩৩ (১৮)
|-
| ৫ || Tahmid || ১২৩ (৭)
|-
| ৬ || R1F4T || ১০৯ (৯)
|-
| ৭ || Mehedi Abedin || ১০০ (২)
|-
| ৮ || Ishtiak Abdullah || ৫৭ (৭)
|-
| ৯ || Maruf || ৪
|}
24oe795j5kjdl02psr3aps50w0refu0
84778
84777
2025-06-18T06:53:10Z
R1F4T
9121
84778
wikitext
text/x-wiki
;পর্যালোচনা পরিসংখ্যান
{| class="wikitable sortable"
! # !! পর্যালোচক !! পর্যালোচনা সংখ্যা
|-
| ১ || MdsShakil || ২৪৪
|-
| ২ || MS Sakib || ১৭৬ (৩)
|-
| ৩ || Tahmid || ১৩৭ (৮)
|-
| ৪ || Yahya || ১৩৫
|-
| ৫ || NusJaS || ১৩৩ (১৮)
|-
| ৬ || R1F4T || ১০৯ (৯)
|-
| ৭ || Mehedi Abedin || ১০০ (১৩)
|-
| ৮ || Ishtiak Abdullah || ৫৭ (৭)
|-
| ৯ || Maruf || ৪
|}
dc88k4jhobsyq1wygxze5w9z1pp4hm0
84779
84778
2025-06-18T07:18:30Z
R1F4T
9121
84779
wikitext
text/x-wiki
;পর্যালোচনা পরিসংখ্যান
{| class="wikitable sortable"
! # !! পর্যালোচক !! পর্যালোচনা সংখ্যা (২য় স্থানে) ⇒ প্রকৃত
|-
| ১ || MdsShakil || ২৪৪
|-
| ২ || MS Sakib || ১৭৬ (৩) ⇒ ১৭৩
|-
| ৩ || Tahmid || ১৩৭ (৮) ⇒ ১২৯
|-
| ৪ || Yahya || ১৩৫
|-
| ৫ || NusJaS || ১৩৩ (১৮) ⇒ ১১৫
|-
| ৬ || R1F4T || ১০৯ (৯) ⇒ ১০০
|-
| ৭ || Mehedi Abedin || ১০০ (১৩) ⇒ ৮৭
|-
| ৮ || Ishtiak Abdullah || ৫৭ (৭) ⇒ ৫০
|-
| ৯ || Maruf || ৪
|-
! colspan="2" | মোট পর্যালোচিত পৃষ্ঠা || ১০৩৭টি
|}
kmjhepdinldq64mhcv1kvv0ulmy5vh2
84780
84779
2025-06-18T07:21:27Z
R1F4T
9121
84780
wikitext
text/x-wiki
;পর্যালোচনা পরিসংখ্যান
{| class="wikitable sortable"
! # !! পর্যালোচক !! পর্যালোচনা সংখ্যা ⇒ প্রকৃত
|-
| ১ || MdsShakil || ২৪৪
|-
| ২ || MS Sakib || ১৭৬ (৩) ⇒ ১৭৩
|-
| ৩ || Tahmid || ১৪০ (৮) ⇒ ১৩২
|-
| ৪ || Yahya || ১৩৫
|-
| ৫ || NusJaS || ১৩৩ (১৮) ⇒ ১১৫
|-
| ৬ || R1F4T || ১০৯ (৯) ⇒ ১০০
|-
| ৭ || Mehedi Abedin || ১০০ (১৩) ⇒ ৮৭
|-
| ৮ || Ishtiak Abdullah || ৫৭ (৭) ⇒ ৫০
|-
| ৯ || Maruf || ৪
|-
! colspan="2" | মোট পর্যালোচিত পৃষ্ঠা || ১০৪০টি
|}
itis1c10xq9snxs91p68wpbpzly9lgi
84785
84780
2025-06-18T07:31:46Z
R1F4T
9121
84785
wikitext
text/x-wiki
;পর্যালোচনা পরিসংখ্যান
{| class="wikitable sortable"
! # !! পর্যালোচক !! পর্যালোচনা সংখ্যা ⇒ প্রকৃত
|-
| ১ || MdsShakil || ২৪৮
|-
| ২ || MS Sakib || ১৭৬ (৩) ⇒ ১৭৩
|-
| ৩ || Yahya || ১৩৫
|-
| ৪ || Tahmid || ১৪০ (৮) ⇒ ১৩২
|-
| ৫ || NusJaS || ১৩৩ (১৮) ⇒ ১১৫
|-
| ৬ || R1F4T || ১০৯ (৯) ⇒ ১০০
|-
| ৭ || Mehedi Abedin || ১০০ (১৩) ⇒ ৮৭
|-
| ৮ || Ishtiak Abdullah || ৫৭ (৭) ⇒ ৫০
|-
| ৯ || Maruf || ৪
|-
! colspan="2" | মোট পর্যালোচিত পৃষ্ঠা || ১০৪৪টি
|}
omppke76edy7gozfwmfd17eq2paeohe
84801
84785
2025-06-18T08:13:20Z
R1F4T
9121
দুইবার করে পর্যালোচনা ব্যবহারকারীদের জন্য ভুল দেখাচ্ছে
84801
wikitext
text/x-wiki
;পর্যালোচনা পরিসংখ্যান
{| class="wikitable sortable"
! # !! পর্যালোচক !! পর্যালোচনা সংখ্যা
|-
| ১ || MdsShakil || ২৪৯
|-
| ২ || MS Sakib || ১৭৬
|-
| ৩ || Tahmid || ১৪০
|-
| ৪ || Yahya || ১৩৫
|-
| ৫ || NusJaS || ১৩৩
|-
| ৬ || R1F4T || ১০৯
|-
| ৭ || Mehedi Abedin || ১০০
|-
| ৮ || Ishtiak Abdullah || ৫৭
|-
| ৯ || Maruf || ৪
|-
! colspan="2" | মোট পর্যালোচিত পৃষ্ঠা || ১১০৩টি
|}
qv3xxq4p1lfpi5chmo7pywozeg3zt32
আধুনিক বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস
0
22682
84649
84437
2025-06-17T15:04:41Z
Jonoikobangali
676
/* পর্ব ৩: বাংলা নাটক */
84649
wikitext
text/x-wiki
{{অবস্থা|৫০%}}<p align=center><font size=7 color="DarkBlue"><b>আধুনিক বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস</b></font></p>
==সূচিপত্র==
=== ভূমিকা ===
# [[/আধুনিক যুগের সূত্রপাত|বাংলা সাহিত্যে আধুনিক যুগের সূত্রপাত]]
## [[/আধুনিক যুগের সূত্রপাত#আধুনিকতার লক্ষণ|আধুনিকতার লক্ষণ]]
### [[/আধুনিক যুগের সূত্রপাত#মানবতাবোধ|মানবতাবোধ]]
### [[/আধুনিক যুগের সূত্রপাত#জাতীয়তাবোধ|জাতীয়তাবোধ]]
### [[/আধুনিক যুগের সূত্রপাত#বৈজ্ঞানিক চেতনা ও যুক্তিবাদ|বৈজ্ঞানিক চেতনা ও যুক্তিবাদ]]
## [[/আধুনিক যুগের সূত্রপাত#আধুনিক সাহিত্যের বিকাশ|আধুনিক সাহিত্যের বিকাশ]]
### [[/আধুনিক যুগের সূত্রপাত#গদ্যসাহিত্য|গদ্যসাহিত্য]]
### [[/আধুনিক যুগের সূত্রপাত#কথাসাহিত্য|কথাসাহিত্য]]
### [[/আধুনিক যুগের সূত্রপাত#কাব্যসাহিত্য|কাব্যসাহিত্য]]
### [[/আধুনিক যুগের সূত্রপাত#নাট্যসাহিত্য|নাট্যসাহিত্য]]
## [[/আধুনিক যুগের সূত্রপাত#মূল্যায়ন|মূল্যায়ন]]
=== পর্ব ১: বাংলা গদ্যসাহিত্য ===
# [[/গদ্যসাহিত্যের সূত্রপাত|বাংলা গদ্যসাহিত্যের সূত্রপাত (উনিশ শতকের পূর্ববর্তী বাংলা গদ্যসাহিত্য)]]
## [[/গদ্যসাহিত্যের সূত্রপাত#কোচবিহারের রাজার চিঠি ও অন্যান্য দলিল|কোচবিহারের রাজার চিঠি ও অন্যান্য দলিল]]
## [[/গদ্যসাহিত্যের সূত্রপাত#বৈষ্ণব নিবন্ধে গদ্য|বৈষ্ণব নিবন্ধে গদ্য]]
## [[/গদ্যসাহিত্যের সূত্রপাত#দোমিঙ্গো দে সোসা|দোমিঙ্গো দে সোসা]]
## [[/গদ্যসাহিত্যের সূত্রপাত#দোম আন্তোনিও দে রোজারিও: ব্রাহ্মণ-রোমান-ক্যাথলিক-সংবাদ|দোম আন্তোনিও দে রোজারিও: ''ব্রাহ্মণ-রোমান-ক্যাথলিক-সংবাদ'']]
## [[/গদ্যসাহিত্যের সূত্রপাত#মানোএল দ্য আস্মুম্পসাঁউ: কৃপার শাস্ত্রের অর্থভেদ|মানোএল দ্য আস্মুম্পসাঁউ: ''কৃপার শাস্ত্রের অর্থভেদ'']]
## [[/গদ্যসাহিত্যের সূত্রপাত#অন্যান্য নিদর্শন|অন্যান্য নিদর্শন]]
## [[/গদ্যসাহিত্যের সূত্রপাত#দেশীয় লেখকদের কৃতিত্ব|দেশীয় লেখকদের কৃতিত্ব]]
# [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ|শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ]]
## [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ#শ্রীরামপুর ব্যাপটিস্ট মিশন|শ্রীরামপুর ব্যাপটিস্ট মিশন]]
### [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ#শ্রীরামপুর ব্যাপটিস্ট মিশন প্রতিষ্ঠা|শ্রীরামপুর ব্যাপটিস্ট মিশন প্রতিষ্ঠা]]
### [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ#বাইবেল অনুবাদ|বাইবেল অনুবাদ]]
### [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ#ছাপাখানা প্রতিষ্ঠা ও সাময়িকপত্র|ছাপাখানা প্রতিষ্ঠা ও সাময়িকপত্র]]
### [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ#মিশনারিদের রচনার বৈশিষ্ট্য|মিশনারিদের রচনার বৈশিষ্ট্য]]
## [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ#ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ|ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ]]
### [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ#ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের প্রতিষ্ঠা|ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের প্রতিষ্ঠা]]
### [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ#পণ্ডিত-মুন্সিদের রচনা|পণ্ডিত-মুন্সিদের রচনা]]
#### [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ#উইলিয়াম কেরি|উইলিয়াম কেরি]]
#### [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ#রামরাম বসু|রামরাম বসু]]
#### [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ#মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার|মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার]]
#### [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ#অন্যান্য লেখকবর্গ|অন্যান্য লেখকবর্গ]]
### [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ#পণ্ডিত-মুন্সিদের গদ্যের রচনার বৈশিষ্ট্য|পণ্ডিত-মুন্সিদের গদ্যের রচনার বৈশিষ্ট্য]]
## [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ#মিশনারি ও কলেজের পণ্ডিত-মুন্সিদের গদ্যচর্চার তুলনা|মিশনারি ও কলেজের পণ্ডিত-মুন্সিদের গদ্যচর্চার তুলনা]]
# [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র|উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র]]
## [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#সংবাদপত্রের সূচনা|সংবাদপত্রের সূচনা]]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#দিগ্দর্শন|দিগ্দর্শন]]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#সমাচার-দর্পণ|সমাচার-দর্পণ]]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#গঙ্গাকিশোর ভট্টাচার্যের বেঙ্গল গেজেট|গঙ্গাকিশোর ভট্টাচার্যের ''বেঙ্গল গেজেট'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#সম্বাদ কৌমুদী|''সম্বাদ কৌমুদী'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#সমাচার-চন্দ্রিকা|''সমাচার-চন্দ্রিকা'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#সংবাদ প্রভাকর|''সংবাদ প্রভাকর'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা|''তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#উনিশ শতকের প্রথমার্ধের অন্যান্য পত্রপত্রিকা|উনিশ শতকের প্রথমার্ধের অন্যান্য পত্রপত্রিকা]]
## [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#উনিশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধের পত্রপত্রিকা|উনিশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধের পত্রপত্রিকা]]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#বিবিধার্থ সংগ্রহ|''বিবিধার্থ সংগ্রহ'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#মাসিক পত্রিকা|''মাসিক পত্রিকা'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#এডুকেশন গেজেট|''এডুকেশন গেজেট'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#সোমপ্রকাশ|''সোমপ্রকাশ'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#রহস্য-সন্দর্ভ|''রহস্য-সন্দর্ভ'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#অবোধবন্ধু|''অবোধবন্ধু'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#বঙ্গদর্শন|''বঙ্গদর্শন'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#প্রচার|''প্রচার'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#নবজীবন|''নবজীবন'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#ভারতী|''ভারতী'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#বালক|''বালক'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#সাধনা|''সাধনা'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#বঙ্গবাসী|''বঙ্গবাসী'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#হিতবাদী|''হিতবাদী'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#জন্মভূমি|''জন্মভূমি'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#বামাবোধিনী|''বামাবোধিনী'']]
## [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#পত্রিকাকেন্দ্রিক লেখকগোষ্ঠী|পত্রিকাকেন্দ্রিক লেখকগোষ্ঠী]]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#তত্ত্ববোধিনী গোষ্ঠী|তত্ত্ববোধিনী গোষ্ঠী]]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#বঙ্গদর্শন গোষ্ঠী|বঙ্গদর্শন গোষ্ঠী]]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#ভারতী ও সাধনা গোষ্ঠী|ভারতী ও সাধনা গোষ্ঠী]]
## [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#অবদান|অবদান]]
# [[/রাজা রামমোহন রায়|রাজা রামমোহন রায়]]
## [[/রাজা রামমোহন রায়#রামমোহন রায়ের রচনাবলি|রামমোহন রায়ের রচনাবলি]]
## [[/রাজা রামমোহন রায়#রামমোহন রায়ের গদ্যরীতি|রামমোহন রায়ের গদ্যরীতি]]
## [[/রাজা রামমোহন রায়#গদ্যশিল্পে রামমোহন রায়ের প্রভাব|গদ্যশিল্পে রামমোহন রায়ের প্রভাব]]
# [[/অক্ষয়কুমার দত্ত|অক্ষয়কুমার দত্ত]]
# [[/ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর|ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর]]
## [[/ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর#অনুবাদ সাহিত্য|অনুবাদ সাহিত্য]]
## [[/ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর#মৌলিক রচনা|মৌলিক রচনা]]
## [[/ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর#বিদ্যাসাগরের গদ্যরীতির বৈশিষ্ট্য|বিদ্যাসাগরের গদ্যরীতির বৈশিষ্ট্য]]
## [[/ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর#‘বাংলা গদ্যের জনক’|‘বাংলা গদ্যের জনক’]]
# [[/দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর|দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর]]
# [[/ভূদেব মুখোপাধ্যায়|ভূদেব মুখোপাধ্যায়]]
# [[/রাজনারায়ণ বসু|রাজনারায়ণ বসু]]
# [[/বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রবন্ধসাহিত্য|বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রবন্ধসাহিত্য]]
## [[/বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রবন্ধসাহিত্য#বঙ্কিমচন্দ্রের প্রবন্ধসাহিত্যে বৈচিত্র্য|বৈচিত্র্য]]
## [[/বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রবন্ধসাহিত্য#জ্ঞানচর্চামূলক প্রবন্ধ|জ্ঞানচর্চামূলক প্রবন্ধ]]
## [[/বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রবন্ধসাহিত্য#বিচারমূলক প্রবন্ধ|বিচারমূলক প্রবন্ধ]]
## [[/বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রবন্ধসাহিত্য#রসব্যঞ্জনামূলক প্রবন্ধ|রসব্যঞ্জনামূলক প্রবন্ধ]]
## [[/বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রবন্ধসাহিত্য#প্রবন্ধসাহিত্যে বঙ্কিমচন্দ্রের অবদান|অবদান]]
# [[/বঙ্কিম-সমকালীন প্রাবন্ধিক গোষ্ঠী|বঙ্কিম-সমকালীন প্রাবন্ধিক গোষ্ঠী]]
# [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক বাংলা প্রবন্ধসাহিত্য|রবীন্দ্র-সমসাময়িক প্রবন্ধসাহিত্য]]
## [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক বাংলা প্রবন্ধসাহিত্য#বলেন্দ্রনাথ ঠাকুর|বলেন্দ্রনাথ ঠাকুর]]
## [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক বাংলা প্রবন্ধসাহিত্য#অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর|অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর]]
## [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক বাংলা প্রবন্ধসাহিত্য#রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদী|রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদী]]
## [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক বাংলা প্রবন্ধসাহিত্য#প্রমথ চৌধুরী|প্রমথ চৌধুরী]]
## [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক বাংলা প্রবন্ধসাহিত্য#পাঁচকড়ি বন্দ্যোপাধ্যায়|পাঁচকড়ি বন্দ্যোপাধ্যায়]]
## [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক বাংলা প্রবন্ধসাহিত্য#মোহিতলাল মজুমদার|মোহিতলাল মজুমদার]]
## [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক বাংলা প্রবন্ধসাহিত্য#রবীন্দ্র-পরবর্তীকালের বাংলা প্রবন্ধসাহিত্য|রবীন্দ্র-পরবর্তীকালের বাংলা প্রবন্ধসাহিত্য]]
===পরিশিষ্ট: বাংলা গদ্যসাহিত্য===
# [[/রামমোহন, বিদ্যাসাগর ও অক্ষয়কুমারের অবদান|রামমোহন, বিদ্যাসাগর ও অক্ষয়কুমারের অবদান]]
# [[/বাংলা গদ্যে আলালী ও বিদ্যাসাগরী রীতির বিবর্তন|বাংলা গদ্যে আলালী ও বিদ্যাসাগরী রীতির বিবর্তন]]
# [[/বাংলা গদ্যে চলিত রীতির বিবর্তন|বাংলা গদ্যে চলিত রীতি বিবর্তন]]
# [[/ভূদেব মুখোপাধ্যায় ও বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়|ভূদেব মুখোপাধ্যায় ও বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়]]
=== পর্ব ২: বাংলা উপন্যাস ও ছোটোগল্প ===
# [[/উপন্যাসের সূত্রপাত|বাংলা সাহিত্যে উপন্যাসের সূত্রপাত]]
## [[/উপন্যাসের সূত্রপাত#উপন্যাসের সূত্রপাত|উপন্যাসের সূত্রপাত]]
## [[/উপন্যাসের সূত্রপাত#উপন্যাস রচনার প্রথম প্রচেষ্টা|উপন্যাস রচনার প্রথম প্রচেষ্টা]]
## [[/উপন্যাসের সূত্রপাত#হানা ক্যাথারিন মুলেন্সের ফুলমণি ও করুণার বৃত্তান্ত|হানা ক্যাথারিন মুলেন্সের ''ফুলমণি ও করুণার বৃত্তান্ত'']]
## [[/উপন্যাসের সূত্রপাত#প্যারীচাঁদ মিত্রের আলালের ঘরের দুলাল|প্যারীচাঁদ মিত্রের ''আলালের ঘরের দুলাল'']]
## [[/উপন্যাসের সূত্রপাত#কালীপ্রসন্ন সিংহের হুতোম প্যাঁচার নক্সা|কালীপ্রসন্ন সিংহের ''হুতোম প্যাঁচার নক্সা'']]
## [[/উপন্যাসের সূত্রপাত#রোম্যান্স রচনার সূত্রপাত|রোম্যান্স রচনার সূত্রপাত: ভূদেব মুখোপাধ্যায়, কৃষ্ণকমল ভট্টাচার্য ও গোপীমোহন ঘোষ]]
## [[/উপন্যাসের সূত্রপাত#সূচনা পর্বের উপন্যাসের সাহিত্যমূল্য|সূচনা পর্বের উপন্যাসের সাহিত্যমূল্য]]
# [[/বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের উপন্যাস|বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের উপন্যাস]]
# [[/বঙ্কিম-সমকালীন ঔপন্যাসিক গোষ্ঠী|বঙ্কিম-সমকালীন ঔপন্যাসিক গোষ্ঠী]]
## [[/বঙ্কিম-সমকালীন ঔপন্যাসিক গোষ্ঠী#রমেশচন্দ্র দত্ত|রমেশচন্দ্র দত্ত]]
## [[/বঙ্কিম-সমকালীন ঔপন্যাসিক গোষ্ঠী#সঞ্জীবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়|সঞ্জীবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়]]
## [[/বঙ্কিম-সমকালীন ঔপন্যাসিক গোষ্ঠী#তারকনাথ গঙ্গোপাধ্যায়|তারকনাথ গঙ্গোপাধ্যায়]]
## [[/বঙ্কিম-সমকালীন ঔপন্যাসিক গোষ্ঠী#প্রতাপচন্দ্র ঘোষ|প্রতাপচন্দ্র ঘোষ]]
## [[/বঙ্কিম-সমকালীন ঔপন্যাসিক গোষ্ঠী#স্বর্ণকুমারী দেবী|স্বর্ণকুমারী দেবী]]
## [[/বঙ্কিম-সমকালীন ঔপন্যাসিক গোষ্ঠী#বঙ্কিমযুগের অন্যান্য ঔপন্যাসিক|বঙ্কিমযুগের অন্যান্য ঔপন্যাসিক]]
# [[/বিশ শতকের বাংলা উপন্যাস|বিশ শতকের বাংলা উপন্যাস]]
# [[/প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়ের উপন্যাস|প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়ের উপন্যাস]]
# [[/শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের উপন্যাস|শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের উপন্যাস]]
# [[/শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ছোটোগল্প|শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ছোটোগল্প]]
# [[/বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়|বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়]]
# [[/তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়|তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়]]
# [[/মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়|মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়]]
# [[/বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায়|বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায়]]
# [[/দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী যুগের ছোটোগল্প ও উপন্যাস|দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী যুগের ছোটোগল্প ও উপন্যাস]]
## [[/দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী যুগের ছোটোগল্প ও উপন্যাস#হৃদয়বৃত্তিমূলক কথাসাহিত্য|হৃদয়বৃত্তিমূলক কথাসাহিত্য]]
## [[/দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী যুগের ছোটোগল্প ও উপন্যাস#চিন্তামূলক মননশীল কথাসাহিত্য|চিন্তামূলক মননশীল কথাসাহিত্য]]
## [[/দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী যুগের ছোটোগল্প ও উপন্যাস#বিকৃত-চিন্তামূলক বিদ্রোহাত্মক কথাসাহিত্য|বিকৃত-চিন্তামূলক বিদ্রোহাত্মক কথাসাহিত্য]]
## [[/দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী যুগের ছোটোগল্প ও উপন্যাস#বাস্তববুদ্ধিমূলক মানবিক কথাসাহিত্য|বাস্তববুদ্ধিমূলক মানবিক কথাসাহিত্য]]
## [[/দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী যুগের ছোটোগল্প ও উপন্যাস#কৌতুকরসাত্মক কথাসাহিত্য|কৌতুকরসাত্মক কথাসাহিত্য]]
=== পর্ব ৩: বাংলা নাটক ===
# [[/আধুনিক বাংলা নাটকের উদ্ভব|আধুনিক বাংলা নাটকের উদ্ভব]]
## [[/আধুনিক বাংলা নাটকের উদ্ভব#যাত্রার আদিরূপ|যাত্রার আদিরূপ]]
## [[/আধুনিক বাংলা নাটকের উদ্ভব#মধ্যযুগে নাট্যরস পরিবেশনের প্রয়াস|মধ্যযুগে নাট্যরস পরিবেশনের প্রয়াস]]
## [[/আধুনিক বাংলা নাটকের উদ্ভব#যাত্রা|যাত্রা]]
## [[/আধুনিক বাংলা নাটকের উদ্ভব#নতুন যাত্রাপদ্ধতি ও গীতাভিনয়|নতুন যাত্রাপদ্ধতি ও গীতাভিনয়]]
## [[/আধুনিক বাংলা নাটকের উদ্ভব#যাত্রাপালা এবং মির্যাকল প্লে ও মর্যালিটি প্লে|যাত্রাপালা এবং মির্যাকল প্লে ও মর্যালিটি প্লে]]
## [[/আধুনিক বাংলা নাটকের উদ্ভব#ইংরেজি নাট্যশালার আদর্শ ও বাংলা নাটক|ইংরেজি নাট্যশালার আদর্শ ও বাংলা নাটক]]
# [[/সাধারণ নাট্যশালা প্রতিষ্ঠার পূর্ববর্তী নাট্যশালা|সাধারণ নাট্যশালা প্রতিষ্ঠার পূর্ববর্তী নাট্যশালা]]
# [[/নাট্যশালার ইতিহাস|বাংলা নাট্যশালার ইতিহাস]]
# [[/রামনারায়ণ তর্করত্ন|রামনারায়ণ তর্করত্ন]]
## [[/রামনারায়ণ তর্করত্ন#কুলীনকুলসর্বস্ব|''কুলীনকুলসর্বস্ব'']]
## [[/রামনারায়ণ তর্করত্ন#অন্যান্য নাটক|অন্যান্য নাটক]]
## [[/রামনারায়ণ তর্করত্ন#মূল্যায়ন|মূল্যায়ন]]
# [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের নাট্যসাহিত্য|মাইকেল মধুসূদন দত্ত]]
## [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের নাট্যসাহিত্য#প্রাক্-মধুসূদন যুগের বাংলা নাটক ও মধুসূদন|প্রাক্-মধুসূদন যুগের বাংলা নাটক ও মধুসূদন]]
## [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের নাট্যসাহিত্য#পৌরাণিক নাটক|পৌরাণিক নাটক]]
### [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের নাট্যসাহিত্য#''শর্মিষ্ঠা''|''শর্মিষ্ঠা'']]
### [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের নাট্যসাহিত্য#''পদ্মাবতী''|''পদ্মাবতী'']]
## [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের নাট্যসাহিত্য#ঐতিহাসিক নাটক: ট্র্যাজেডি|ঐতিহাসিক নাটক: ট্র্যাজেডি]]
### [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের নাট্যসাহিত্য#''কৃষ্ণকুমারী''|''কৃষ্ণকুমারী'']]
## [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের নাট্যসাহিত্য#প্রহসন|প্রহসন: ''একেই কি বলে সভ্যতা'' ও ''বুড়ো শালিকের ঘাড়ে রোঁ'']]
## [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের নাট্যসাহিত্য#প্রহসন|অন্যান্য নাটক: ''মায়াকানন'' ও ''বিষ না ধনুর্গুণ'']]
## [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের নাট্যসাহিত্য#বাংলা নাটকের ইতিহাসে মাইকেল মধুসূদন দত্তের স্থান|বাংলা নাটকের ইতিহাসে মাইকেল মধুসূদন দত্তের স্থান]]
# [[/দীনবন্ধু মিত্র|দীনবন্ধু মিত্র]]
## [[/দীনবন্ধু মিত্র#সামাজিক নাটক|সামাজিক নাটক]]
### [[/দীনবন্ধু মিত্র#নীলদর্পণ|''নীলদর্পণ'']]
#### [[/দীনবন্ধু মিত্র#নীল বিদ্রোহ ও নীলদর্পণ নাটক|নীল বিদ্রোহ ও ''নীলদর্পণ'' নাটক]]
#### [[/দীনবন্ধু মিত্র#নীলদর্পণ নাটকের সংক্ষিপ্ত কাহিনি|''নীলদর্পণ'' নাটকের সংক্ষিপ্ত কাহিনি]]
#### [[/দীনবন্ধু মিত্র#সমালোচনা|সমালোচনা]]
## [[/দীনবন্ধু মিত্র#অন্যান্য নাটক|অন্যান্য নাটক]]
### [[/দীনবন্ধু মিত্র#প্রহসন|প্রহসন]]
#### [[/দীনবন্ধু মিত্র#সধবার একাদশী ও নিমচাঁদ চরিত্র|''সধবার একাদশী'' ও নিমচাঁদ চরিত্র]]
## [[/দীনবন্ধু মিত্র#বাংলা নাট্যসাহিত্যে দীনবন্ধু মিত্রের অবদান|বাংলা নাট্যসাহিত্যে দীনবন্ধু মিত্রের অবদান]]
# [[/মনোমোহন বসু|মনোমোহন বসু]]
# [[/জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর|জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর]]
## [[/জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর#জ্যোতিরিন্দ্রনাথের ঐতিহাসিক নাটক|ঐতিহাসিক নাটক]]
## [[/জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর#জ্যোতিরিন্দ্রনাথের প্রহসন|প্রহসন]]
## [[/জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর#জ্যোতিরিন্দ্রনাথের অনুবাদ নাটক|অনুবাদ নাটক]]
# [[/উপেন্দ্রনাথ দাস|উপেন্দ্রনাথ দাস]]
# [[/রাজকৃষ্ণ রায়|রাজকৃষ্ণ রায়]]
# [[/গিরিশচন্দ্র ঘোষ|গিরিশচন্দ্র ঘোষ]]
# [[/অমৃতলাল বসু|অমৃতলাল বসু]]
# [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়|দ্বিজেন্দ্রলাল রায়]]
## [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#প্রহসন|প্রহসন]]
### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#কল্কি অবতার|''কল্কি অবতার'']]
### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#বিরহ|''বিরহ'']]
### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#ত্র্যহস্পর্শ|''ত্র্যহস্পর্শ'']]
### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#প্রায়শ্চিত্ত|''প্রায়শ্চিত্ত'']]
### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#পুনর্জন্ম|''পুনর্জন্ম'']]
### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#আনন্দবিদায়|''আনন্দবিদায়'']]
## [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#পৌরাণিক নাটক|পৌরাণিক নাটক]]
### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#পাষাণী|''পাষাণী'']]
### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#সীতা|''সীতা'']]
### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#ভীষ্ম|''ভীষ্ম'']]
## [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#সামাজিক নাটক|সামাজিক নাটক]]
### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#পরপারে|''পরপারে'']]
### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#বঙ্গনারী|''বঙ্গনারী'']]
## [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#অপেরা|অপেরা]]
### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#সোরাব-রুস্তম|''সোরাব-রুস্তম'']]
## [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#ঐতিহাসিক নাটক|ঐতিহাসিক নাটক]]
### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#রাজপুত ইতিহাস-নির্ভর ঐতিহাসিক নাটক|রাজপুত ইতিহাস-নির্ভর ঐতিহাসিক নাটক]]
#### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#তারাবাঈ|''তারাবাঈ'']]
#### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#রাণা প্রতাপ সিংহ|''রাণা প্রতাপ সিংহ'']]
#### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#দুর্গাদাস|''দুর্গাদাস'']]
#### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#মেবার পতন|''মেবার পতন'']]
### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#অন্যান্য ঐতিহাসিক নাটক|অন্যান্য ঐতিহাসিক নাটক]]
#### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#নূরজাহান|''নূরজাহান'']]
#### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#সাজাহান|''সাজাহান'']]
#### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#চন্দ্রগুপ্ত|''চন্দ্রগুপ্ত'']]
#### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#সিংহল বিজয়|''সিংহল বিজয়'']]
## [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#দ্বিজেন্দ্রলালের নাটকে সংলাপের ভাষা|দ্বিজেন্দ্রলালের নাটকে সংলাপের ভাষা]]
## [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#মূল্যায়ন|মূল্যায়ন]]
# [[/ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ|ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ]]
## [[/ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ#অপেরা বা গীতিমুখর নাটক|অপেরা বা গীতিমুখর নাটক]]
## [[/ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ#পৌরাণিক নাটক|পৌরাণিক নাটক]]
## [[/ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ#কাল্পনিক নাটক|কাল্পনিক নাটক]]
## [[/ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ#অপেরা বা গীতিমুখর নাটক|অপেরা বা গীতিমুখর নাটক]]
## [[/ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ#ঐতিহাসিক নাটক|ঐতিহাসিক নাটক]]
## [[/ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ#মূল্যায়ন|মূল্যায়ন]]
# [[/বিশ শতকের বাংলা নাটক|বিশ শতকের বাংলা নাটক]]
## [[/বিশ শতকের বাংলা নাটক#অপরেশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়|অপরেশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়]]
## [[/বিশ শতকের বাংলা নাটক#গতানুগতিক ধারার নাট্যকারগণ|গতানুগতিক ধারার নাট্যকারগণ]]
## [[/বিশ শতকের বাংলা নাটক#যোগেশচন্দ্র চৌধুরী|যোগেশচন্দ্র চৌধুরী]]
## [[/বিশ শতকের বাংলা নাটক#মন্মথ রায়|মন্মথ রায়]]
## [[/বিশ শতকের বাংলা নাটক#শচীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত|শচীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত]]
## [[/বিশ শতকের বাংলা নাটক#বিধায়ক ভট্টাচার্য|বিধায়ক ভট্টাচার্য]]
## [[/বিশ শতকের বাংলা নাটক#প্রমথনাথ বিশী|প্রমথনাথ বিশী]]
## [[/বিশ শতকের বাংলা নাটক#জীবনী নাটক|জীবনী নাটক]]
## [[/বিশ শতকের বাংলা নাটক#নবনাট্য আন্দোলন|নবনাট্য আন্দোলন]]
## [[/বিশ শতকের বাংলা নাটক#বিদেশি নাটকের বঙ্গীকরণ|বিদেশি নাটকের বঙ্গীকরণ]]
# [[/পৌরাণিক নাটক|বাংলা পৌরাণিক নাটকের বিকাশ]]
## [[/পৌরাণিক নাটক#প্রথম পর্বের বাংলা পৌরাণিক নাটক|প্রথম পর্ব: হরচন্দ্র ঘোষ, কালীপ্রসন্ন সিংহ, মাইকেল মধুসূদন দত্ত ও রামনারায়ণ তর্করত্ন]]
## [[/পৌরাণিক নাটক#দ্বিতীয় পর্বের বাংলা পৌরাণিক নাটক|দ্বিতীয় পর্ব: মনোমোহন বসু, রাজকৃষ্ণ রায়, অতুলকৃষ্ণ মিত্র ও গিরিশচন্দ্র ঘোষ]]
## [[/পৌরাণিক নাটক#তৃতীয় পর্বের বাংলা পৌরাণিক নাটক|তৃতীয় পর্ব: দ্বিজেন্দ্রলাল রায়, ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ, অপরেশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়, ভূপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, যোগেশচন্দ্র চৌধুরী, মন্মথ রায় ও মহেন্দ্র গুপ্ত]]
## [[/পৌরাণিক নাটক#বাংলা পৌরাণিক নাটকের পরিণতি|পরিণতি]]
# [[/ঐতিহাসিক নাটক|বাংলা ঐতিহাসিক নাটকের বিকাশ]]
## [[/ঐতিহাসিক নাটক#প্রথম পর্ব: মাইকেল মধুসূদন দত্ত|প্রথম পর্ব: মাইকেল মধুসূদন দত্ত]]
## [[/ঐতিহাসিক নাটক#দ্বিতীয় পর্ব: জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর, ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ, দ্বিজেন্দ্রলাল রায়, গিরিশচন্দ্র ঘোষ ও অন্যান্য নাট্যকার|দ্বিতীয় পর্ব: জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর, ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ, দ্বিজেন্দ্রলাল রায়, গিরিশচন্দ্র ঘোষ ও অন্যান্য নাট্যকার]]
## [[/ঐতিহাসিক নাটক#তৃতীয় পর্ব: যোগেশচন্দ্র চৌধুরী ও অন্যান্য নাট্যকার|তৃতীয় পর্ব: যোগেশচন্দ্র চৌধুরী ও অন্যান্য নাট্যকার]]
# [[/সামাজিক ও পারিবারিক নাটক|বাংলা সামাজিক ও পারিবারিক নাটকের বিকাশ]]
## [[/সামাজিক ও পারিবারিক নাটক#প্রথম পর্বের সামাজিক নাটক|প্রথম পর্বের সামাজিক নাটক: রামনারায়ণ তর্করত্ন, উমেশচন্দ্র মিত্র, দীনবন্ধু মিত্র ও অন্যান্য]]
## [[/সামাজিক ও পারিবারিক নাটক#দ্বিতীয় পর্বের সামাজিক ও পারিবারিক নাটক|দ্বিতীয় পর্বের সামাজিক ও পারিবারিক নাটক: উপেন্দ্রনাথ দাস, গিরিশচন্দ্র ঘোষ, দ্বিজেন্দ্রলাল রায় ও অন্যান্য]]
## [[/সামাজিক ও পারিবারিক নাটক#তৃতীয় পর্বের পারিবারিক নাটক|তৃতীয় পর্বের পারিবারিক নাটক: শচীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত, জলধর চট্টোপাধ্যায়, মহেন্দ্র গুপ্ত ও বিধায়ক ভট্টাচার্য]]
## [[/সামাজিক ও পারিবারিক নাটক#চতুর্থ পর্বের আধুনিক সমাজ-সচেতন নাটক|চতুর্থ পর্বের আধুনিক সমাজ-সচেতন নাটক: বিজন ভট্টাচার্য, তুলসী লাহিড়ী, সলিল সেন ও অন্যান্য]]
# [[/প্রহসন|বাংলা প্রহসনের বিকাশ]]
## [[/প্রহসন#প্রথম পর্বের প্রহসন: রামনারায়ণ তর্করত্ন, কালীপ্রসন্ন সিংহ, মাইকেল মধুসূদন দত্ত, দীনবন্ধু মিত্র ও জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর|প্রথম পর্বের প্রহসন: রামনারায়ণ তর্করত্ন, কালীপ্রসন্ন সিংহ, মাইকেল মধুসূদন দত্ত, দীনবন্ধু মিত্র ও জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর]]
## [[/প্রহসন#দ্বিতীয় পর্বের প্রহসন: গিরিশচন্দ্র ঘোষ, অমৃতলাল বসু, দ্বিজেন্দ্রলাল রায়, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর|দ্বিতীয় পর্বের প্রহসন: গিরিশচন্দ্র ঘোষ, অমৃতলাল বসু, দ্বিজেন্দ্রলাল রায়, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর]]
## [[/প্রহসন#তৃতীয় পর্বের প্রহসন: রবীন্দ্রনাথ মৈত্র, প্রমথনাথ বিশী, বিধায়ক ভট্টাচার্য প্রমুখ|তৃতীয় পর্বের প্রহসন: রবীন্দ্রনাথ মৈত্র, প্রমথনাথ বিশী, বিধায়ক ভট্টাচার্য প্রমুখ]]
=== পর্ব ৪: আধুনিক বাংলা কাব্যসাহিত্য ===
# [[/কবিওয়ালা|কবিওয়ালা]]
# [[/ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত|ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত]]
# [[/মদনমোহন তর্কালঙ্কার|মদনমোহন তর্কালঙ্কার]]
# [[/উনিশ শতকের মহাকাব্য ও আখ্যানকাব্য|উনিশ শতকের বাংলা মহাকাব্য ও আখ্যানকাব্য]]
## [[/উনিশ শতকের মহাকাব্য ও আখ্যানকাব্য#আখ্যানকাব্যের বৈশিষ্ট্য|আখ্যানকাব্যের বৈশিষ্ট্য]]
## [[/উনিশ শতকের মহাকাব্য ও আখ্যানকাব্য#মহাকাব্যের বৈশিষ্ট্য|মহাকাব্যের বৈশিষ্ট্য]]
### [[/উনিশ শতকের মহাকাব্য ও আখ্যানকাব্য#মাইকেল মধুসূদন দত্তের মহাকাব্য|মাইকেল মধুসূদন দত্তের মহাকাব্য]]
### [[/উনিশ শতকের মহাকাব্য ও আখ্যানকাব্য#হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের মহাকাব্য ও আখ্যানকাব্য|হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের মহাকাব্য ও আখ্যানকাব্য]]
### [[/উনিশ শতকের মহাকাব্য ও আখ্যানকাব্য#নবীনচন্দ্র সেনের মহাকাব্য ও আখ্যানকাব্য|নবীনচন্দ্র সেনের মহাকাব্য ও আখ্যানকাব্য]]
## [[/উনিশ শতকের মহাকাব্য ও আখ্যানকাব্য#বাংলা মহাকাব্যের পরিণতি|বাংলা মহাকাব্যের পরিণতি]]
## [[/উনিশ শতকের মহাকাব্য ও আখ্যানকাব্য#বাংলা আখ্যানকাব্যের পরিণতি|বাংলা আখ্যানকাব্যের পরিণতি]]
# [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের কাব্যসাহিত্য|মাইকেল মধুসূদন দত্ত]]
## [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের কাব্যসাহিত্য#কাব্যসাহিত্য|কাব্যসাহিত্য]]
### [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের কাব্যসাহিত্য#তিলোত্তমাসম্ভব কাব্য|''তিলোত্তমাসম্ভব কাব্য'']]
### [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের কাব্যসাহিত্য#মেঘনাদবধ কাব্য|''মেঘনাদবধ কাব্য'']]
### [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের কাব্যসাহিত্য#ব্রজাঙ্গনা কাব্য|''ব্রজাঙ্গনা কাব্য'']]
### [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের কাব্যসাহিত্য#বীরাঙ্গনা কাব্য|''বীরাঙ্গনা কাব্য'']]
### [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের কাব্যসাহিত্য#চতুর্দশপদী কবিতাবলী|''চতুর্দশপদী কবিতাবলী'']]
## [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের কাব্যসাহিত্য#মূল্যায়ন|মূল্যায়ন]]
# [[/হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়|হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়]]
# [[/নবীনচন্দ্র সেন|নবীনচন্দ্র সেন]]
# [[/বিহারীলাল চক্রবর্তী|বিহারীলাল চক্রবর্তী]]
## [[/বিহারীলাল চক্রবর্তী#রচনাবলি|রচনাবলি]]
## [[/বিহারীলাল চক্রবর্তী#কবিপ্রতিভার বৈশিষ্ট্য|কবিপ্রতিভার বৈশিষ্ট্য]]
## [[/বিহারীলাল চক্রবর্তী#শৈল্পিক ত্রুটি|শৈল্পিক ত্রুটি]]
## [[/বিহারীলাল চক্রবর্তী#বিশুদ্ধ গীতিকবিতার জনক বিহারীলাল|বিশুদ্ধ গীতিকবিতার জনক বিহারীলাল]]
# [[/আখ্যানকাব্য ও গীতিকাব্যের ধারা ও পরিণাম|বাংলা আখ্যানকাব্য ও গীতিকাব্যের ধারা ও পরিণাম]]
# [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক কবিগণ|রবীন্দ্র-সমসাময়িক কবিগণ]]
## [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক কবিগণ#রবীন্দ্র-পরিমণ্ডলের অন্তর্ভুক্ত কবিগণ|রবীন্দ্র-পরিমণ্ডলের অন্তর্ভুক্ত কবিগণ]]
## [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক কবিগণ#রবীন্দ্র-প্রভাবিক কবিগোষ্ঠী|রবীন্দ্র-প্রভাবিক কবিগোষ্ঠী]]
### [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক কবিগণ#দ্বিজেন্দ্রলাল রায়|দ্বিজেন্দ্রলাল রায়]]
### [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক কবিগণ#সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত|সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত]]
### [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক কবিগণ#করুণানিধন বন্দ্যোপাধ্যায়|করুণানিধন বন্দ্যোপাধ্যায়]]
### [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক কবিগণ#যতীন্দ্রমোহন বাগচি|যতীন্দ্রমোহন বাগচি]]
### [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক কবিগণ#কুমুদরঞ্জন মল্লিক, কালিদাস রায় ও কিরণধন চট্টোপাধ্যায়|কুমুদরঞ্জন মল্লিক, কালিদাস রায় ও কিরণধন চট্টোপাধ্যায়]]
## [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক কবিগণ#রবীন্দ্রবিরোধী কবিগোষ্ঠী|রবীন্দ্রবিরোধী কবিগোষ্ঠী]]
### [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক কবিগণ#মোহিতলাল মজুমদার|মোহিতলাল মজুমদার]]
### [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক কবিগণ#যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত|যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত]]
### [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক কবিগণ#কাজী নজরুল ইসলাম|কাজী নজরুল ইসলাম]]
# [[/উনিশ শতকের মহিলা কবিগণ|উনিশ শতকের মহিলা কবিগণ]]
## [[/উনিশ শতকের মহিলা কবিগণ#মোক্ষদায়িনী মুখোপাধ্যায়|মোক্ষদায়িনী মুখোপাধ্যায়]]
## [[/উনিশ শতকের মহিলা কবিগণ#স্বর্ণকুমারী দেবী|স্বর্ণকুমারী দেবী]]
## [[/উনিশ শতকের মহিলা কবিগণ#গিরীন্দ্রমোহিনী দাসী|গিরীন্দ্রমোহিনী দাসী]]
## [[/উনিশ শতকের মহিলা কবিগণ#মানকুমারী বসু|মানকুমারী বসু]]
## [[/উনিশ শতকের মহিলা কবিগণ#কামিনী রায়|কামিনী রায়]]
## [[/উনিশ শতকের মহিলা কবিগণ#সরোজকুমারী দেবী|সরোজকুমারী দেবী]]
## [[/উনিশ শতকের মহিলা কবিগণ#অন্যান্য মহিলা কবিগণ|অন্যান্য মহিলা কবিগণ]]
# [[/রবীন্দ্র-পরবর্তী বাংলা কবিতা|রবীন্দ্র-পরবর্তী বাংলা কবিতা]]
## [[/রবীন্দ্র-পরবর্তী বাংলা কবিতা#বুদ্ধদেব বসু|বুদ্ধদেব বসু]]
## [[/রবীন্দ্র-পরবর্তী বাংলা কবিতা#জীবনানন্দ দাশ|জীবনানন্দ দাশ]]
## [[/রবীন্দ্র-পরবর্তী বাংলা কবিতা#অজিত দত্ত|অজিত দত্ত]]
## [[/রবীন্দ্র-পরবর্তী বাংলা কবিতা#সুধীন্দ্রনাথ দত্ত|সুধীন্দ্রনাথ দত্ত]]
## [[/রবীন্দ্র-পরবর্তী বাংলা কবিতা#বিষ্ণু দে|বিষ্ণু দে]]
## [[/রবীন্দ্র-পরবর্তী বাংলা কবিতা#প্রেমেন্দ্র মিত্র|প্রেমেন্দ্র মিত্র]]
## [[/রবীন্দ্র-পরবর্তী বাংলা কবিতা#অমিয় চক্রবর্তী|অমিয় চক্রবর্তী]]
## [[/রবীন্দ্র-পরবর্তী বাংলা কবিতা#সমর সেন|সমর সেন]]
## [[/রবীন্দ্র-পরবর্তী বাংলা কবিতা#সুকান্ত ভট্টাচার্য|সুকান্ত ভট্টাচার্য]]
## [[/রবীন্দ্র-পরবর্তী বাংলা কবিতা#অন্যান্য কবিগণ|অন্যান্য কবিগণ]]
=== পর্ব ৫: রবীন্দ্রসাহিত্য ===
# [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতা|কবিতা]]
# [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক|নাটক]]
## [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#রবীন্দ্রনাথের গীতিনাট্য: বাল্মীকিপ্রতিভা, কালমৃগয়া ও মায়ার খেলা|রবীন্দ্রনাথের গীতিনাট্য: ''বাল্মীকিপ্রতিভা'', ''কালমৃগয়া'' ও ''মায়ার খেলা'']]
## [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#রবীন্দ্রনাথের কাব্যনাট্য|কাব্যনাট্য]]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#প্রকৃতির প্রতিশোধ|''প্রকৃতির প্রতিশোধ'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#চিত্রাঙ্গদা|''চিত্রাঙ্গদা'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#বিদায় অভিশাপ|''বিদায় অভিশাপ'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#কাহিনী গ্রন্থের কাব্যনাট্যসমূহ|''কাহিনী'' গ্রন্থের কাব্যনাট্যসমূহ: "গান্ধারীর আবেদন", "সতী", "নরকবাস", "লক্ষ্মীর পরীক্ষা" ও "কর্ণকুন্তীসংবাদ"]]
## [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#রবীন্দ্রনাথের প্রথানুগ নাটক|প্রথানুগ নাটক]]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#রাজা ও রানী ও তপতী|''রাজা ও রানী'' ও ''তপতী'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#বিসর্জন|''বিসর্জন'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#মালিনী|''মালিনী'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#প্রায়শ্চিত্ত ও পরিত্রাণ|''প্রায়শ্চিত্ত'' ও ''পরিত্রাণ'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#রবীন্দ্রনাথের পারিবারিক নাটক: গৃহপ্রবেশ ও শোধবোধ|রবীন্দ্রনাথের পারিবারিক নাটক: ''গৃহপ্রবেশ'' ও ''শোধবোধ'']]
## [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#রবীন্দ্রনাথের প্রহসন বা কৌতুকনাট্য|প্রহসন বা কৌতুকনাট্য]]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#গোড়ায় গলদ ও শেষরক্ষা|''গোড়ায় গলদ'' ও ''শেষরক্ষা'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#বৈকুণ্ঠের খাতা|''বৈকুণ্ঠের খাতা'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#হাস্যকৌতুক ও ব্যঙ্গকৌতুক|''হাস্যকৌতুক'' ও ''ব্যঙ্গকৌতুক'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#চিরকুমার সভা|''চিরকুমার সভা'']]
## [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#রবীন্দ্রনাথের রূপক-সাংকেতিক নাটক|রূপক-সাংকেতিক নাটক]]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#শারদোৎসব ও ঋণশোধ|''শারদোৎসব'' ও ''ঋণশোধ'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#রাজা ও অরূপরতন|''রাজা'' ও ''অরূপরতন'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#অচলায়তন ও গুরু|''অচলায়তন'' ও ''গুরু'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#ডাকঘর|''ডাকঘর'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#ফাল্গুনী|''ফাল্গুনী'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#মুক্তধারা|''মুক্তধারা'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#রক্তকরবী|''রক্তকরবী'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#রথের রশি ও তাসের দেশ|''রথের রশি'' ও ''তাসের দেশ'']]
# [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উপন্যাস|উপন্যাস]]
# [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছোটোগল্প|ছোটোগল্প]]
# [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রবন্ধসাহিত্য|প্রবন্ধসাহিত্য]]
## [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রবন্ধসাহিত্য#প্রবন্ধসাহিত্যের শ্রেণিবিভাগ|প্রবন্ধসাহিত্যের শ্রেণিবিভাগ]]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রবন্ধসাহিত্য#প্রবন্ধসাহিত্যের শ্রেণিবিভাগ|প্রবন্ধসাহিত্যের শ্রেণিবিভাগ]]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রবন্ধসাহিত্য#সমালোচনা, সাহিত্যতত্ত্ব ও সাহিত্য আলোচনা-বিষয়ক প্রবন্ধ|সমালোচনা, সাহিত্যতত্ত্ব ও সাহিত্য আলোচনা-বিষয়ক প্রবন্ধ]]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রবন্ধসাহিত্য#শিক্ষা, সমাজ ও রাজনীতি-বিষয়ক প্রবন্ধ|শিক্ষা, সমাজ ও রাজনীতি-বিষয়ক প্রবন্ধ]]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রবন্ধসাহিত্য#ধর্ম, দর্শন ও অধ্যাত্ম-বিষয়ক প্রবন্ধ|ধর্ম, দর্শন ও অধ্যাত্ম-বিষয়ক প্রবন্ধ]]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রবন্ধসাহিত্য#ভ্রমণসাহিত্য|ভ্রমণসাহিত্য]]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রবন্ধসাহিত্য#পত্রসাহিত্য|পত্রসাহিত্য]]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রবন্ধসাহিত্য#আত্মকথা ও জীবনী|আত্মকথা ও জীবনী]]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রবন্ধসাহিত্য#আবেগধর্মী প্রবন্ধ|আবেগধর্মী প্রবন্ধ]]
## [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রবন্ধসাহিত্য#মূল্যায়ন|মূল্যায়ন]]
# [[/রবীন্দ্রসংগীত|রবীন্দ্রসংগীত]]
{{বিষয়|বাংলা সাহিত্য}}
{{বর্ণানুক্রমিক|আ}}
{{বিষয়|সাহিত্য}}
{{বইয়ের বিষয়শ্রেণী}}
pvae5th60wfs5w80bvcior08ov0iicc
84651
84649
2025-06-17T15:10:29Z
Jonoikobangali
676
/* পর্ব ৩: বাংলা নাটক */
84651
wikitext
text/x-wiki
{{অবস্থা|৫০%}}<p align=center><font size=7 color="DarkBlue"><b>আধুনিক বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস</b></font></p>
==সূচিপত্র==
=== ভূমিকা ===
# [[/আধুনিক যুগের সূত্রপাত|বাংলা সাহিত্যে আধুনিক যুগের সূত্রপাত]]
## [[/আধুনিক যুগের সূত্রপাত#আধুনিকতার লক্ষণ|আধুনিকতার লক্ষণ]]
### [[/আধুনিক যুগের সূত্রপাত#মানবতাবোধ|মানবতাবোধ]]
### [[/আধুনিক যুগের সূত্রপাত#জাতীয়তাবোধ|জাতীয়তাবোধ]]
### [[/আধুনিক যুগের সূত্রপাত#বৈজ্ঞানিক চেতনা ও যুক্তিবাদ|বৈজ্ঞানিক চেতনা ও যুক্তিবাদ]]
## [[/আধুনিক যুগের সূত্রপাত#আধুনিক সাহিত্যের বিকাশ|আধুনিক সাহিত্যের বিকাশ]]
### [[/আধুনিক যুগের সূত্রপাত#গদ্যসাহিত্য|গদ্যসাহিত্য]]
### [[/আধুনিক যুগের সূত্রপাত#কথাসাহিত্য|কথাসাহিত্য]]
### [[/আধুনিক যুগের সূত্রপাত#কাব্যসাহিত্য|কাব্যসাহিত্য]]
### [[/আধুনিক যুগের সূত্রপাত#নাট্যসাহিত্য|নাট্যসাহিত্য]]
## [[/আধুনিক যুগের সূত্রপাত#মূল্যায়ন|মূল্যায়ন]]
=== পর্ব ১: বাংলা গদ্যসাহিত্য ===
# [[/গদ্যসাহিত্যের সূত্রপাত|বাংলা গদ্যসাহিত্যের সূত্রপাত (উনিশ শতকের পূর্ববর্তী বাংলা গদ্যসাহিত্য)]]
## [[/গদ্যসাহিত্যের সূত্রপাত#কোচবিহারের রাজার চিঠি ও অন্যান্য দলিল|কোচবিহারের রাজার চিঠি ও অন্যান্য দলিল]]
## [[/গদ্যসাহিত্যের সূত্রপাত#বৈষ্ণব নিবন্ধে গদ্য|বৈষ্ণব নিবন্ধে গদ্য]]
## [[/গদ্যসাহিত্যের সূত্রপাত#দোমিঙ্গো দে সোসা|দোমিঙ্গো দে সোসা]]
## [[/গদ্যসাহিত্যের সূত্রপাত#দোম আন্তোনিও দে রোজারিও: ব্রাহ্মণ-রোমান-ক্যাথলিক-সংবাদ|দোম আন্তোনিও দে রোজারিও: ''ব্রাহ্মণ-রোমান-ক্যাথলিক-সংবাদ'']]
## [[/গদ্যসাহিত্যের সূত্রপাত#মানোএল দ্য আস্মুম্পসাঁউ: কৃপার শাস্ত্রের অর্থভেদ|মানোএল দ্য আস্মুম্পসাঁউ: ''কৃপার শাস্ত্রের অর্থভেদ'']]
## [[/গদ্যসাহিত্যের সূত্রপাত#অন্যান্য নিদর্শন|অন্যান্য নিদর্শন]]
## [[/গদ্যসাহিত্যের সূত্রপাত#দেশীয় লেখকদের কৃতিত্ব|দেশীয় লেখকদের কৃতিত্ব]]
# [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ|শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ]]
## [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ#শ্রীরামপুর ব্যাপটিস্ট মিশন|শ্রীরামপুর ব্যাপটিস্ট মিশন]]
### [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ#শ্রীরামপুর ব্যাপটিস্ট মিশন প্রতিষ্ঠা|শ্রীরামপুর ব্যাপটিস্ট মিশন প্রতিষ্ঠা]]
### [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ#বাইবেল অনুবাদ|বাইবেল অনুবাদ]]
### [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ#ছাপাখানা প্রতিষ্ঠা ও সাময়িকপত্র|ছাপাখানা প্রতিষ্ঠা ও সাময়িকপত্র]]
### [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ#মিশনারিদের রচনার বৈশিষ্ট্য|মিশনারিদের রচনার বৈশিষ্ট্য]]
## [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ#ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ|ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ]]
### [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ#ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের প্রতিষ্ঠা|ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের প্রতিষ্ঠা]]
### [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ#পণ্ডিত-মুন্সিদের রচনা|পণ্ডিত-মুন্সিদের রচনা]]
#### [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ#উইলিয়াম কেরি|উইলিয়াম কেরি]]
#### [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ#রামরাম বসু|রামরাম বসু]]
#### [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ#মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার|মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার]]
#### [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ#অন্যান্য লেখকবর্গ|অন্যান্য লেখকবর্গ]]
### [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ#পণ্ডিত-মুন্সিদের গদ্যের রচনার বৈশিষ্ট্য|পণ্ডিত-মুন্সিদের গদ্যের রচনার বৈশিষ্ট্য]]
## [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ#মিশনারি ও কলেজের পণ্ডিত-মুন্সিদের গদ্যচর্চার তুলনা|মিশনারি ও কলেজের পণ্ডিত-মুন্সিদের গদ্যচর্চার তুলনা]]
# [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র|উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র]]
## [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#সংবাদপত্রের সূচনা|সংবাদপত্রের সূচনা]]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#দিগ্দর্শন|দিগ্দর্শন]]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#সমাচার-দর্পণ|সমাচার-দর্পণ]]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#গঙ্গাকিশোর ভট্টাচার্যের বেঙ্গল গেজেট|গঙ্গাকিশোর ভট্টাচার্যের ''বেঙ্গল গেজেট'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#সম্বাদ কৌমুদী|''সম্বাদ কৌমুদী'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#সমাচার-চন্দ্রিকা|''সমাচার-চন্দ্রিকা'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#সংবাদ প্রভাকর|''সংবাদ প্রভাকর'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা|''তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#উনিশ শতকের প্রথমার্ধের অন্যান্য পত্রপত্রিকা|উনিশ শতকের প্রথমার্ধের অন্যান্য পত্রপত্রিকা]]
## [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#উনিশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধের পত্রপত্রিকা|উনিশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধের পত্রপত্রিকা]]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#বিবিধার্থ সংগ্রহ|''বিবিধার্থ সংগ্রহ'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#মাসিক পত্রিকা|''মাসিক পত্রিকা'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#এডুকেশন গেজেট|''এডুকেশন গেজেট'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#সোমপ্রকাশ|''সোমপ্রকাশ'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#রহস্য-সন্দর্ভ|''রহস্য-সন্দর্ভ'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#অবোধবন্ধু|''অবোধবন্ধু'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#বঙ্গদর্শন|''বঙ্গদর্শন'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#প্রচার|''প্রচার'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#নবজীবন|''নবজীবন'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#ভারতী|''ভারতী'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#বালক|''বালক'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#সাধনা|''সাধনা'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#বঙ্গবাসী|''বঙ্গবাসী'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#হিতবাদী|''হিতবাদী'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#জন্মভূমি|''জন্মভূমি'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#বামাবোধিনী|''বামাবোধিনী'']]
## [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#পত্রিকাকেন্দ্রিক লেখকগোষ্ঠী|পত্রিকাকেন্দ্রিক লেখকগোষ্ঠী]]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#তত্ত্ববোধিনী গোষ্ঠী|তত্ত্ববোধিনী গোষ্ঠী]]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#বঙ্গদর্শন গোষ্ঠী|বঙ্গদর্শন গোষ্ঠী]]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#ভারতী ও সাধনা গোষ্ঠী|ভারতী ও সাধনা গোষ্ঠী]]
## [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#অবদান|অবদান]]
# [[/রাজা রামমোহন রায়|রাজা রামমোহন রায়]]
## [[/রাজা রামমোহন রায়#রামমোহন রায়ের রচনাবলি|রামমোহন রায়ের রচনাবলি]]
## [[/রাজা রামমোহন রায়#রামমোহন রায়ের গদ্যরীতি|রামমোহন রায়ের গদ্যরীতি]]
## [[/রাজা রামমোহন রায়#গদ্যশিল্পে রামমোহন রায়ের প্রভাব|গদ্যশিল্পে রামমোহন রায়ের প্রভাব]]
# [[/অক্ষয়কুমার দত্ত|অক্ষয়কুমার দত্ত]]
# [[/ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর|ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর]]
## [[/ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর#অনুবাদ সাহিত্য|অনুবাদ সাহিত্য]]
## [[/ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর#মৌলিক রচনা|মৌলিক রচনা]]
## [[/ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর#বিদ্যাসাগরের গদ্যরীতির বৈশিষ্ট্য|বিদ্যাসাগরের গদ্যরীতির বৈশিষ্ট্য]]
## [[/ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর#‘বাংলা গদ্যের জনক’|‘বাংলা গদ্যের জনক’]]
# [[/দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর|দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর]]
# [[/ভূদেব মুখোপাধ্যায়|ভূদেব মুখোপাধ্যায়]]
# [[/রাজনারায়ণ বসু|রাজনারায়ণ বসু]]
# [[/বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রবন্ধসাহিত্য|বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রবন্ধসাহিত্য]]
## [[/বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রবন্ধসাহিত্য#বঙ্কিমচন্দ্রের প্রবন্ধসাহিত্যে বৈচিত্র্য|বৈচিত্র্য]]
## [[/বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রবন্ধসাহিত্য#জ্ঞানচর্চামূলক প্রবন্ধ|জ্ঞানচর্চামূলক প্রবন্ধ]]
## [[/বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রবন্ধসাহিত্য#বিচারমূলক প্রবন্ধ|বিচারমূলক প্রবন্ধ]]
## [[/বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রবন্ধসাহিত্য#রসব্যঞ্জনামূলক প্রবন্ধ|রসব্যঞ্জনামূলক প্রবন্ধ]]
## [[/বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রবন্ধসাহিত্য#প্রবন্ধসাহিত্যে বঙ্কিমচন্দ্রের অবদান|অবদান]]
# [[/বঙ্কিম-সমকালীন প্রাবন্ধিক গোষ্ঠী|বঙ্কিম-সমকালীন প্রাবন্ধিক গোষ্ঠী]]
# [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক বাংলা প্রবন্ধসাহিত্য|রবীন্দ্র-সমসাময়িক প্রবন্ধসাহিত্য]]
## [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক বাংলা প্রবন্ধসাহিত্য#বলেন্দ্রনাথ ঠাকুর|বলেন্দ্রনাথ ঠাকুর]]
## [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক বাংলা প্রবন্ধসাহিত্য#অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর|অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর]]
## [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক বাংলা প্রবন্ধসাহিত্য#রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদী|রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদী]]
## [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক বাংলা প্রবন্ধসাহিত্য#প্রমথ চৌধুরী|প্রমথ চৌধুরী]]
## [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক বাংলা প্রবন্ধসাহিত্য#পাঁচকড়ি বন্দ্যোপাধ্যায়|পাঁচকড়ি বন্দ্যোপাধ্যায়]]
## [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক বাংলা প্রবন্ধসাহিত্য#মোহিতলাল মজুমদার|মোহিতলাল মজুমদার]]
## [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক বাংলা প্রবন্ধসাহিত্য#রবীন্দ্র-পরবর্তীকালের বাংলা প্রবন্ধসাহিত্য|রবীন্দ্র-পরবর্তীকালের বাংলা প্রবন্ধসাহিত্য]]
===পরিশিষ্ট: বাংলা গদ্যসাহিত্য===
# [[/রামমোহন, বিদ্যাসাগর ও অক্ষয়কুমারের অবদান|রামমোহন, বিদ্যাসাগর ও অক্ষয়কুমারের অবদান]]
# [[/বাংলা গদ্যে আলালী ও বিদ্যাসাগরী রীতির বিবর্তন|বাংলা গদ্যে আলালী ও বিদ্যাসাগরী রীতির বিবর্তন]]
# [[/বাংলা গদ্যে চলিত রীতির বিবর্তন|বাংলা গদ্যে চলিত রীতি বিবর্তন]]
# [[/ভূদেব মুখোপাধ্যায় ও বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়|ভূদেব মুখোপাধ্যায় ও বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়]]
=== পর্ব ২: বাংলা উপন্যাস ও ছোটোগল্প ===
# [[/উপন্যাসের সূত্রপাত|বাংলা সাহিত্যে উপন্যাসের সূত্রপাত]]
## [[/উপন্যাসের সূত্রপাত#উপন্যাসের সূত্রপাত|উপন্যাসের সূত্রপাত]]
## [[/উপন্যাসের সূত্রপাত#উপন্যাস রচনার প্রথম প্রচেষ্টা|উপন্যাস রচনার প্রথম প্রচেষ্টা]]
## [[/উপন্যাসের সূত্রপাত#হানা ক্যাথারিন মুলেন্সের ফুলমণি ও করুণার বৃত্তান্ত|হানা ক্যাথারিন মুলেন্সের ''ফুলমণি ও করুণার বৃত্তান্ত'']]
## [[/উপন্যাসের সূত্রপাত#প্যারীচাঁদ মিত্রের আলালের ঘরের দুলাল|প্যারীচাঁদ মিত্রের ''আলালের ঘরের দুলাল'']]
## [[/উপন্যাসের সূত্রপাত#কালীপ্রসন্ন সিংহের হুতোম প্যাঁচার নক্সা|কালীপ্রসন্ন সিংহের ''হুতোম প্যাঁচার নক্সা'']]
## [[/উপন্যাসের সূত্রপাত#রোম্যান্স রচনার সূত্রপাত|রোম্যান্স রচনার সূত্রপাত: ভূদেব মুখোপাধ্যায়, কৃষ্ণকমল ভট্টাচার্য ও গোপীমোহন ঘোষ]]
## [[/উপন্যাসের সূত্রপাত#সূচনা পর্বের উপন্যাসের সাহিত্যমূল্য|সূচনা পর্বের উপন্যাসের সাহিত্যমূল্য]]
# [[/বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের উপন্যাস|বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের উপন্যাস]]
# [[/বঙ্কিম-সমকালীন ঔপন্যাসিক গোষ্ঠী|বঙ্কিম-সমকালীন ঔপন্যাসিক গোষ্ঠী]]
## [[/বঙ্কিম-সমকালীন ঔপন্যাসিক গোষ্ঠী#রমেশচন্দ্র দত্ত|রমেশচন্দ্র দত্ত]]
## [[/বঙ্কিম-সমকালীন ঔপন্যাসিক গোষ্ঠী#সঞ্জীবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়|সঞ্জীবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়]]
## [[/বঙ্কিম-সমকালীন ঔপন্যাসিক গোষ্ঠী#তারকনাথ গঙ্গোপাধ্যায়|তারকনাথ গঙ্গোপাধ্যায়]]
## [[/বঙ্কিম-সমকালীন ঔপন্যাসিক গোষ্ঠী#প্রতাপচন্দ্র ঘোষ|প্রতাপচন্দ্র ঘোষ]]
## [[/বঙ্কিম-সমকালীন ঔপন্যাসিক গোষ্ঠী#স্বর্ণকুমারী দেবী|স্বর্ণকুমারী দেবী]]
## [[/বঙ্কিম-সমকালীন ঔপন্যাসিক গোষ্ঠী#বঙ্কিমযুগের অন্যান্য ঔপন্যাসিক|বঙ্কিমযুগের অন্যান্য ঔপন্যাসিক]]
# [[/বিশ শতকের বাংলা উপন্যাস|বিশ শতকের বাংলা উপন্যাস]]
# [[/প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়ের উপন্যাস|প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়ের উপন্যাস]]
# [[/শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের উপন্যাস|শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের উপন্যাস]]
# [[/শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ছোটোগল্প|শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ছোটোগল্প]]
# [[/বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়|বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়]]
# [[/তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়|তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়]]
# [[/মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়|মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়]]
# [[/বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায়|বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায়]]
# [[/দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী যুগের ছোটোগল্প ও উপন্যাস|দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী যুগের ছোটোগল্প ও উপন্যাস]]
## [[/দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী যুগের ছোটোগল্প ও উপন্যাস#হৃদয়বৃত্তিমূলক কথাসাহিত্য|হৃদয়বৃত্তিমূলক কথাসাহিত্য]]
## [[/দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী যুগের ছোটোগল্প ও উপন্যাস#চিন্তামূলক মননশীল কথাসাহিত্য|চিন্তামূলক মননশীল কথাসাহিত্য]]
## [[/দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী যুগের ছোটোগল্প ও উপন্যাস#বিকৃত-চিন্তামূলক বিদ্রোহাত্মক কথাসাহিত্য|বিকৃত-চিন্তামূলক বিদ্রোহাত্মক কথাসাহিত্য]]
## [[/দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী যুগের ছোটোগল্প ও উপন্যাস#বাস্তববুদ্ধিমূলক মানবিক কথাসাহিত্য|বাস্তববুদ্ধিমূলক মানবিক কথাসাহিত্য]]
## [[/দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী যুগের ছোটোগল্প ও উপন্যাস#কৌতুকরসাত্মক কথাসাহিত্য|কৌতুকরসাত্মক কথাসাহিত্য]]
=== পর্ব ৩: বাংলা নাটক ===
# [[/আধুনিক বাংলা নাটকের উদ্ভব|আধুনিক বাংলা নাটকের উদ্ভব]]
## [[/আধুনিক বাংলা নাটকের উদ্ভব#যাত্রার আদিরূপ|যাত্রার আদিরূপ]]
## [[/আধুনিক বাংলা নাটকের উদ্ভব#মধ্যযুগে নাট্যরস পরিবেশনের প্রয়াস|মধ্যযুগে নাট্যরস পরিবেশনের প্রয়াস]]
## [[/আধুনিক বাংলা নাটকের উদ্ভব#যাত্রা|যাত্রা]]
## [[/আধুনিক বাংলা নাটকের উদ্ভব#নতুন যাত্রাপদ্ধতি ও গীতাভিনয়|নতুন যাত্রাপদ্ধতি ও গীতাভিনয়]]
## [[/আধুনিক বাংলা নাটকের উদ্ভব#যাত্রাপালা এবং মির্যাকল প্লে ও মর্যালিটি প্লে|যাত্রাপালা এবং মির্যাকল প্লে ও মর্যালিটি প্লে]]
## [[/আধুনিক বাংলা নাটকের উদ্ভব#ইংরেজি নাট্যশালার আদর্শ ও বাংলা নাটক|ইংরেজি নাট্যশালার আদর্শ ও বাংলা নাটক]]
# [[/সাধারণ নাট্যশালা প্রতিষ্ঠার পূর্ববর্তী নাট্যশালা|সাধারণ নাট্যশালা প্রতিষ্ঠার পূর্ববর্তী নাট্যশালা]]
## [[/সাধারণ নাট্যশালা প্রতিষ্ঠার পূর্ববর্তী নাট্যশালা#প্লে হাউস ও অন্যান্য ইংরেজি নাট্যশালা|প্লে হাউস ও অন্যান্য ইংরেজি নাট্যশালা]]
## [[/সাধারণ নাট্যশালা প্রতিষ্ঠার পূর্ববর্তী নাট্যশালা#গেরাসিম লেবেদেভ ও বেঙ্গলি থিয়েটার|গেরাসিম লেবেদেভ ও বেঙ্গলি থিয়েটার]]
## [[/সাধারণ নাট্যশালা প্রতিষ্ঠার পূর্ববর্তী নাট্যশালা#হিন্দু থিয়েটার ও নবীন বসুর বাড়ির নাট্যশালা|হিন্দু থিয়েটার ও নবীন বসুর বাড়ির নাট্যশালা]]
## [[/সাধারণ নাট্যশালা প্রতিষ্ঠার পূর্ববর্তী নাট্যশালা#ওরিয়েন্টাল থিয়েটার|ওরিয়েন্টাল থিয়েটার]]
## [[/সাধারণ নাট্যশালা প্রতিষ্ঠার পূর্ববর্তী নাট্যশালা#সংস্কৃত নাটকের বঙ্গানুবাদ ও প্রথম মৌলিক বাংলা নাটকের অভিনয়|সংস্কৃত নাটকের বঙ্গানুবাদ ও প্রথম মৌলিক বাংলা নাটকের অভিনয়]]
## [[/সাধারণ নাট্যশালা প্রতিষ্ঠার পূর্ববর্তী নাট্যশালা#বেলগাছিয়া থিয়েটার ও মাইকেল মধুসূদন দত্ত|বেলগাছিয়া থিয়েটার ও মাইকেল মধুসূদন দত্ত]]
## [[/সাধারণ নাট্যশালা প্রতিষ্ঠার পূর্ববর্তী নাট্যশালা#ন্যাশনাল থিয়েটার: বাংলার প্রথম সাধারণ নাট্যশালা|ন্যাশনাল থিয়েটার: বাংলার প্রথম সাধারণ নাট্যশালা]]
# [[/নাট্যশালার ইতিহাস|বাংলা নাট্যশালার ইতিহাস]]
# [[/রামনারায়ণ তর্করত্ন|রামনারায়ণ তর্করত্ন]]
## [[/রামনারায়ণ তর্করত্ন#কুলীনকুলসর্বস্ব|''কুলীনকুলসর্বস্ব'']]
## [[/রামনারায়ণ তর্করত্ন#অন্যান্য নাটক|অন্যান্য নাটক]]
## [[/রামনারায়ণ তর্করত্ন#মূল্যায়ন|মূল্যায়ন]]
# [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের নাট্যসাহিত্য|মাইকেল মধুসূদন দত্ত]]
## [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের নাট্যসাহিত্য#প্রাক্-মধুসূদন যুগের বাংলা নাটক ও মধুসূদন|প্রাক্-মধুসূদন যুগের বাংলা নাটক ও মধুসূদন]]
## [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের নাট্যসাহিত্য#পৌরাণিক নাটক|পৌরাণিক নাটক]]
### [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের নাট্যসাহিত্য#''শর্মিষ্ঠা''|''শর্মিষ্ঠা'']]
### [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের নাট্যসাহিত্য#''পদ্মাবতী''|''পদ্মাবতী'']]
## [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের নাট্যসাহিত্য#ঐতিহাসিক নাটক: ট্র্যাজেডি|ঐতিহাসিক নাটক: ট্র্যাজেডি]]
### [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের নাট্যসাহিত্য#''কৃষ্ণকুমারী''|''কৃষ্ণকুমারী'']]
## [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের নাট্যসাহিত্য#প্রহসন|প্রহসন: ''একেই কি বলে সভ্যতা'' ও ''বুড়ো শালিকের ঘাড়ে রোঁ'']]
## [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের নাট্যসাহিত্য#প্রহসন|অন্যান্য নাটক: ''মায়াকানন'' ও ''বিষ না ধনুর্গুণ'']]
## [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের নাট্যসাহিত্য#বাংলা নাটকের ইতিহাসে মাইকেল মধুসূদন দত্তের স্থান|বাংলা নাটকের ইতিহাসে মাইকেল মধুসূদন দত্তের স্থান]]
# [[/দীনবন্ধু মিত্র|দীনবন্ধু মিত্র]]
## [[/দীনবন্ধু মিত্র#সামাজিক নাটক|সামাজিক নাটক]]
### [[/দীনবন্ধু মিত্র#নীলদর্পণ|''নীলদর্পণ'']]
#### [[/দীনবন্ধু মিত্র#নীল বিদ্রোহ ও নীলদর্পণ নাটক|নীল বিদ্রোহ ও ''নীলদর্পণ'' নাটক]]
#### [[/দীনবন্ধু মিত্র#নীলদর্পণ নাটকের সংক্ষিপ্ত কাহিনি|''নীলদর্পণ'' নাটকের সংক্ষিপ্ত কাহিনি]]
#### [[/দীনবন্ধু মিত্র#সমালোচনা|সমালোচনা]]
## [[/দীনবন্ধু মিত্র#অন্যান্য নাটক|অন্যান্য নাটক]]
### [[/দীনবন্ধু মিত্র#প্রহসন|প্রহসন]]
#### [[/দীনবন্ধু মিত্র#সধবার একাদশী ও নিমচাঁদ চরিত্র|''সধবার একাদশী'' ও নিমচাঁদ চরিত্র]]
## [[/দীনবন্ধু মিত্র#বাংলা নাট্যসাহিত্যে দীনবন্ধু মিত্রের অবদান|বাংলা নাট্যসাহিত্যে দীনবন্ধু মিত্রের অবদান]]
# [[/মনোমোহন বসু|মনোমোহন বসু]]
# [[/জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর|জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর]]
## [[/জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর#জ্যোতিরিন্দ্রনাথের ঐতিহাসিক নাটক|ঐতিহাসিক নাটক]]
## [[/জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর#জ্যোতিরিন্দ্রনাথের প্রহসন|প্রহসন]]
## [[/জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর#জ্যোতিরিন্দ্রনাথের অনুবাদ নাটক|অনুবাদ নাটক]]
# [[/উপেন্দ্রনাথ দাস|উপেন্দ্রনাথ দাস]]
# [[/রাজকৃষ্ণ রায়|রাজকৃষ্ণ রায়]]
# [[/গিরিশচন্দ্র ঘোষ|গিরিশচন্দ্র ঘোষ]]
# [[/অমৃতলাল বসু|অমৃতলাল বসু]]
# [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়|দ্বিজেন্দ্রলাল রায়]]
## [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#প্রহসন|প্রহসন]]
### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#কল্কি অবতার|''কল্কি অবতার'']]
### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#বিরহ|''বিরহ'']]
### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#ত্র্যহস্পর্শ|''ত্র্যহস্পর্শ'']]
### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#প্রায়শ্চিত্ত|''প্রায়শ্চিত্ত'']]
### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#পুনর্জন্ম|''পুনর্জন্ম'']]
### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#আনন্দবিদায়|''আনন্দবিদায়'']]
## [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#পৌরাণিক নাটক|পৌরাণিক নাটক]]
### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#পাষাণী|''পাষাণী'']]
### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#সীতা|''সীতা'']]
### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#ভীষ্ম|''ভীষ্ম'']]
## [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#সামাজিক নাটক|সামাজিক নাটক]]
### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#পরপারে|''পরপারে'']]
### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#বঙ্গনারী|''বঙ্গনারী'']]
## [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#অপেরা|অপেরা]]
### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#সোরাব-রুস্তম|''সোরাব-রুস্তম'']]
## [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#ঐতিহাসিক নাটক|ঐতিহাসিক নাটক]]
### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#রাজপুত ইতিহাস-নির্ভর ঐতিহাসিক নাটক|রাজপুত ইতিহাস-নির্ভর ঐতিহাসিক নাটক]]
#### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#তারাবাঈ|''তারাবাঈ'']]
#### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#রাণা প্রতাপ সিংহ|''রাণা প্রতাপ সিংহ'']]
#### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#দুর্গাদাস|''দুর্গাদাস'']]
#### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#মেবার পতন|''মেবার পতন'']]
### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#অন্যান্য ঐতিহাসিক নাটক|অন্যান্য ঐতিহাসিক নাটক]]
#### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#নূরজাহান|''নূরজাহান'']]
#### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#সাজাহান|''সাজাহান'']]
#### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#চন্দ্রগুপ্ত|''চন্দ্রগুপ্ত'']]
#### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#সিংহল বিজয়|''সিংহল বিজয়'']]
## [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#দ্বিজেন্দ্রলালের নাটকে সংলাপের ভাষা|দ্বিজেন্দ্রলালের নাটকে সংলাপের ভাষা]]
## [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#মূল্যায়ন|মূল্যায়ন]]
# [[/ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ|ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ]]
## [[/ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ#অপেরা বা গীতিমুখর নাটক|অপেরা বা গীতিমুখর নাটক]]
## [[/ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ#পৌরাণিক নাটক|পৌরাণিক নাটক]]
## [[/ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ#কাল্পনিক নাটক|কাল্পনিক নাটক]]
## [[/ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ#অপেরা বা গীতিমুখর নাটক|অপেরা বা গীতিমুখর নাটক]]
## [[/ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ#ঐতিহাসিক নাটক|ঐতিহাসিক নাটক]]
## [[/ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ#মূল্যায়ন|মূল্যায়ন]]
# [[/বিশ শতকের বাংলা নাটক|বিশ শতকের বাংলা নাটক]]
## [[/বিশ শতকের বাংলা নাটক#অপরেশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়|অপরেশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়]]
## [[/বিশ শতকের বাংলা নাটক#গতানুগতিক ধারার নাট্যকারগণ|গতানুগতিক ধারার নাট্যকারগণ]]
## [[/বিশ শতকের বাংলা নাটক#যোগেশচন্দ্র চৌধুরী|যোগেশচন্দ্র চৌধুরী]]
## [[/বিশ শতকের বাংলা নাটক#মন্মথ রায়|মন্মথ রায়]]
## [[/বিশ শতকের বাংলা নাটক#শচীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত|শচীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত]]
## [[/বিশ শতকের বাংলা নাটক#বিধায়ক ভট্টাচার্য|বিধায়ক ভট্টাচার্য]]
## [[/বিশ শতকের বাংলা নাটক#প্রমথনাথ বিশী|প্রমথনাথ বিশী]]
## [[/বিশ শতকের বাংলা নাটক#জীবনী নাটক|জীবনী নাটক]]
## [[/বিশ শতকের বাংলা নাটক#নবনাট্য আন্দোলন|নবনাট্য আন্দোলন]]
## [[/বিশ শতকের বাংলা নাটক#বিদেশি নাটকের বঙ্গীকরণ|বিদেশি নাটকের বঙ্গীকরণ]]
# [[/পৌরাণিক নাটক|বাংলা পৌরাণিক নাটকের বিকাশ]]
## [[/পৌরাণিক নাটক#প্রথম পর্বের বাংলা পৌরাণিক নাটক|প্রথম পর্ব: হরচন্দ্র ঘোষ, কালীপ্রসন্ন সিংহ, মাইকেল মধুসূদন দত্ত ও রামনারায়ণ তর্করত্ন]]
## [[/পৌরাণিক নাটক#দ্বিতীয় পর্বের বাংলা পৌরাণিক নাটক|দ্বিতীয় পর্ব: মনোমোহন বসু, রাজকৃষ্ণ রায়, অতুলকৃষ্ণ মিত্র ও গিরিশচন্দ্র ঘোষ]]
## [[/পৌরাণিক নাটক#তৃতীয় পর্বের বাংলা পৌরাণিক নাটক|তৃতীয় পর্ব: দ্বিজেন্দ্রলাল রায়, ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ, অপরেশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়, ভূপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, যোগেশচন্দ্র চৌধুরী, মন্মথ রায় ও মহেন্দ্র গুপ্ত]]
## [[/পৌরাণিক নাটক#বাংলা পৌরাণিক নাটকের পরিণতি|পরিণতি]]
# [[/ঐতিহাসিক নাটক|বাংলা ঐতিহাসিক নাটকের বিকাশ]]
## [[/ঐতিহাসিক নাটক#প্রথম পর্ব: মাইকেল মধুসূদন দত্ত|প্রথম পর্ব: মাইকেল মধুসূদন দত্ত]]
## [[/ঐতিহাসিক নাটক#দ্বিতীয় পর্ব: জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর, ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ, দ্বিজেন্দ্রলাল রায়, গিরিশচন্দ্র ঘোষ ও অন্যান্য নাট্যকার|দ্বিতীয় পর্ব: জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর, ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ, দ্বিজেন্দ্রলাল রায়, গিরিশচন্দ্র ঘোষ ও অন্যান্য নাট্যকার]]
## [[/ঐতিহাসিক নাটক#তৃতীয় পর্ব: যোগেশচন্দ্র চৌধুরী ও অন্যান্য নাট্যকার|তৃতীয় পর্ব: যোগেশচন্দ্র চৌধুরী ও অন্যান্য নাট্যকার]]
# [[/সামাজিক ও পারিবারিক নাটক|বাংলা সামাজিক ও পারিবারিক নাটকের বিকাশ]]
## [[/সামাজিক ও পারিবারিক নাটক#প্রথম পর্বের সামাজিক নাটক|প্রথম পর্বের সামাজিক নাটক: রামনারায়ণ তর্করত্ন, উমেশচন্দ্র মিত্র, দীনবন্ধু মিত্র ও অন্যান্য]]
## [[/সামাজিক ও পারিবারিক নাটক#দ্বিতীয় পর্বের সামাজিক ও পারিবারিক নাটক|দ্বিতীয় পর্বের সামাজিক ও পারিবারিক নাটক: উপেন্দ্রনাথ দাস, গিরিশচন্দ্র ঘোষ, দ্বিজেন্দ্রলাল রায় ও অন্যান্য]]
## [[/সামাজিক ও পারিবারিক নাটক#তৃতীয় পর্বের পারিবারিক নাটক|তৃতীয় পর্বের পারিবারিক নাটক: শচীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত, জলধর চট্টোপাধ্যায়, মহেন্দ্র গুপ্ত ও বিধায়ক ভট্টাচার্য]]
## [[/সামাজিক ও পারিবারিক নাটক#চতুর্থ পর্বের আধুনিক সমাজ-সচেতন নাটক|চতুর্থ পর্বের আধুনিক সমাজ-সচেতন নাটক: বিজন ভট্টাচার্য, তুলসী লাহিড়ী, সলিল সেন ও অন্যান্য]]
# [[/প্রহসন|বাংলা প্রহসনের বিকাশ]]
## [[/প্রহসন#প্রথম পর্বের প্রহসন: রামনারায়ণ তর্করত্ন, কালীপ্রসন্ন সিংহ, মাইকেল মধুসূদন দত্ত, দীনবন্ধু মিত্র ও জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর|প্রথম পর্বের প্রহসন: রামনারায়ণ তর্করত্ন, কালীপ্রসন্ন সিংহ, মাইকেল মধুসূদন দত্ত, দীনবন্ধু মিত্র ও জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর]]
## [[/প্রহসন#দ্বিতীয় পর্বের প্রহসন: গিরিশচন্দ্র ঘোষ, অমৃতলাল বসু, দ্বিজেন্দ্রলাল রায়, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর|দ্বিতীয় পর্বের প্রহসন: গিরিশচন্দ্র ঘোষ, অমৃতলাল বসু, দ্বিজেন্দ্রলাল রায়, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর]]
## [[/প্রহসন#তৃতীয় পর্বের প্রহসন: রবীন্দ্রনাথ মৈত্র, প্রমথনাথ বিশী, বিধায়ক ভট্টাচার্য প্রমুখ|তৃতীয় পর্বের প্রহসন: রবীন্দ্রনাথ মৈত্র, প্রমথনাথ বিশী, বিধায়ক ভট্টাচার্য প্রমুখ]]
=== পর্ব ৪: আধুনিক বাংলা কাব্যসাহিত্য ===
# [[/কবিওয়ালা|কবিওয়ালা]]
# [[/ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত|ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত]]
# [[/মদনমোহন তর্কালঙ্কার|মদনমোহন তর্কালঙ্কার]]
# [[/উনিশ শতকের মহাকাব্য ও আখ্যানকাব্য|উনিশ শতকের বাংলা মহাকাব্য ও আখ্যানকাব্য]]
## [[/উনিশ শতকের মহাকাব্য ও আখ্যানকাব্য#আখ্যানকাব্যের বৈশিষ্ট্য|আখ্যানকাব্যের বৈশিষ্ট্য]]
## [[/উনিশ শতকের মহাকাব্য ও আখ্যানকাব্য#মহাকাব্যের বৈশিষ্ট্য|মহাকাব্যের বৈশিষ্ট্য]]
### [[/উনিশ শতকের মহাকাব্য ও আখ্যানকাব্য#মাইকেল মধুসূদন দত্তের মহাকাব্য|মাইকেল মধুসূদন দত্তের মহাকাব্য]]
### [[/উনিশ শতকের মহাকাব্য ও আখ্যানকাব্য#হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের মহাকাব্য ও আখ্যানকাব্য|হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের মহাকাব্য ও আখ্যানকাব্য]]
### [[/উনিশ শতকের মহাকাব্য ও আখ্যানকাব্য#নবীনচন্দ্র সেনের মহাকাব্য ও আখ্যানকাব্য|নবীনচন্দ্র সেনের মহাকাব্য ও আখ্যানকাব্য]]
## [[/উনিশ শতকের মহাকাব্য ও আখ্যানকাব্য#বাংলা মহাকাব্যের পরিণতি|বাংলা মহাকাব্যের পরিণতি]]
## [[/উনিশ শতকের মহাকাব্য ও আখ্যানকাব্য#বাংলা আখ্যানকাব্যের পরিণতি|বাংলা আখ্যানকাব্যের পরিণতি]]
# [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের কাব্যসাহিত্য|মাইকেল মধুসূদন দত্ত]]
## [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের কাব্যসাহিত্য#কাব্যসাহিত্য|কাব্যসাহিত্য]]
### [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের কাব্যসাহিত্য#তিলোত্তমাসম্ভব কাব্য|''তিলোত্তমাসম্ভব কাব্য'']]
### [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের কাব্যসাহিত্য#মেঘনাদবধ কাব্য|''মেঘনাদবধ কাব্য'']]
### [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের কাব্যসাহিত্য#ব্রজাঙ্গনা কাব্য|''ব্রজাঙ্গনা কাব্য'']]
### [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের কাব্যসাহিত্য#বীরাঙ্গনা কাব্য|''বীরাঙ্গনা কাব্য'']]
### [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের কাব্যসাহিত্য#চতুর্দশপদী কবিতাবলী|''চতুর্দশপদী কবিতাবলী'']]
## [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের কাব্যসাহিত্য#মূল্যায়ন|মূল্যায়ন]]
# [[/হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়|হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়]]
# [[/নবীনচন্দ্র সেন|নবীনচন্দ্র সেন]]
# [[/বিহারীলাল চক্রবর্তী|বিহারীলাল চক্রবর্তী]]
## [[/বিহারীলাল চক্রবর্তী#রচনাবলি|রচনাবলি]]
## [[/বিহারীলাল চক্রবর্তী#কবিপ্রতিভার বৈশিষ্ট্য|কবিপ্রতিভার বৈশিষ্ট্য]]
## [[/বিহারীলাল চক্রবর্তী#শৈল্পিক ত্রুটি|শৈল্পিক ত্রুটি]]
## [[/বিহারীলাল চক্রবর্তী#বিশুদ্ধ গীতিকবিতার জনক বিহারীলাল|বিশুদ্ধ গীতিকবিতার জনক বিহারীলাল]]
# [[/আখ্যানকাব্য ও গীতিকাব্যের ধারা ও পরিণাম|বাংলা আখ্যানকাব্য ও গীতিকাব্যের ধারা ও পরিণাম]]
# [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক কবিগণ|রবীন্দ্র-সমসাময়িক কবিগণ]]
## [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক কবিগণ#রবীন্দ্র-পরিমণ্ডলের অন্তর্ভুক্ত কবিগণ|রবীন্দ্র-পরিমণ্ডলের অন্তর্ভুক্ত কবিগণ]]
## [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক কবিগণ#রবীন্দ্র-প্রভাবিক কবিগোষ্ঠী|রবীন্দ্র-প্রভাবিক কবিগোষ্ঠী]]
### [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক কবিগণ#দ্বিজেন্দ্রলাল রায়|দ্বিজেন্দ্রলাল রায়]]
### [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক কবিগণ#সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত|সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত]]
### [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক কবিগণ#করুণানিধন বন্দ্যোপাধ্যায়|করুণানিধন বন্দ্যোপাধ্যায়]]
### [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক কবিগণ#যতীন্দ্রমোহন বাগচি|যতীন্দ্রমোহন বাগচি]]
### [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক কবিগণ#কুমুদরঞ্জন মল্লিক, কালিদাস রায় ও কিরণধন চট্টোপাধ্যায়|কুমুদরঞ্জন মল্লিক, কালিদাস রায় ও কিরণধন চট্টোপাধ্যায়]]
## [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক কবিগণ#রবীন্দ্রবিরোধী কবিগোষ্ঠী|রবীন্দ্রবিরোধী কবিগোষ্ঠী]]
### [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক কবিগণ#মোহিতলাল মজুমদার|মোহিতলাল মজুমদার]]
### [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক কবিগণ#যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত|যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত]]
### [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক কবিগণ#কাজী নজরুল ইসলাম|কাজী নজরুল ইসলাম]]
# [[/উনিশ শতকের মহিলা কবিগণ|উনিশ শতকের মহিলা কবিগণ]]
## [[/উনিশ শতকের মহিলা কবিগণ#মোক্ষদায়িনী মুখোপাধ্যায়|মোক্ষদায়িনী মুখোপাধ্যায়]]
## [[/উনিশ শতকের মহিলা কবিগণ#স্বর্ণকুমারী দেবী|স্বর্ণকুমারী দেবী]]
## [[/উনিশ শতকের মহিলা কবিগণ#গিরীন্দ্রমোহিনী দাসী|গিরীন্দ্রমোহিনী দাসী]]
## [[/উনিশ শতকের মহিলা কবিগণ#মানকুমারী বসু|মানকুমারী বসু]]
## [[/উনিশ শতকের মহিলা কবিগণ#কামিনী রায়|কামিনী রায়]]
## [[/উনিশ শতকের মহিলা কবিগণ#সরোজকুমারী দেবী|সরোজকুমারী দেবী]]
## [[/উনিশ শতকের মহিলা কবিগণ#অন্যান্য মহিলা কবিগণ|অন্যান্য মহিলা কবিগণ]]
# [[/রবীন্দ্র-পরবর্তী বাংলা কবিতা|রবীন্দ্র-পরবর্তী বাংলা কবিতা]]
## [[/রবীন্দ্র-পরবর্তী বাংলা কবিতা#বুদ্ধদেব বসু|বুদ্ধদেব বসু]]
## [[/রবীন্দ্র-পরবর্তী বাংলা কবিতা#জীবনানন্দ দাশ|জীবনানন্দ দাশ]]
## [[/রবীন্দ্র-পরবর্তী বাংলা কবিতা#অজিত দত্ত|অজিত দত্ত]]
## [[/রবীন্দ্র-পরবর্তী বাংলা কবিতা#সুধীন্দ্রনাথ দত্ত|সুধীন্দ্রনাথ দত্ত]]
## [[/রবীন্দ্র-পরবর্তী বাংলা কবিতা#বিষ্ণু দে|বিষ্ণু দে]]
## [[/রবীন্দ্র-পরবর্তী বাংলা কবিতা#প্রেমেন্দ্র মিত্র|প্রেমেন্দ্র মিত্র]]
## [[/রবীন্দ্র-পরবর্তী বাংলা কবিতা#অমিয় চক্রবর্তী|অমিয় চক্রবর্তী]]
## [[/রবীন্দ্র-পরবর্তী বাংলা কবিতা#সমর সেন|সমর সেন]]
## [[/রবীন্দ্র-পরবর্তী বাংলা কবিতা#সুকান্ত ভট্টাচার্য|সুকান্ত ভট্টাচার্য]]
## [[/রবীন্দ্র-পরবর্তী বাংলা কবিতা#অন্যান্য কবিগণ|অন্যান্য কবিগণ]]
=== পর্ব ৫: রবীন্দ্রসাহিত্য ===
# [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতা|কবিতা]]
# [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক|নাটক]]
## [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#রবীন্দ্রনাথের গীতিনাট্য: বাল্মীকিপ্রতিভা, কালমৃগয়া ও মায়ার খেলা|রবীন্দ্রনাথের গীতিনাট্য: ''বাল্মীকিপ্রতিভা'', ''কালমৃগয়া'' ও ''মায়ার খেলা'']]
## [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#রবীন্দ্রনাথের কাব্যনাট্য|কাব্যনাট্য]]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#প্রকৃতির প্রতিশোধ|''প্রকৃতির প্রতিশোধ'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#চিত্রাঙ্গদা|''চিত্রাঙ্গদা'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#বিদায় অভিশাপ|''বিদায় অভিশাপ'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#কাহিনী গ্রন্থের কাব্যনাট্যসমূহ|''কাহিনী'' গ্রন্থের কাব্যনাট্যসমূহ: "গান্ধারীর আবেদন", "সতী", "নরকবাস", "লক্ষ্মীর পরীক্ষা" ও "কর্ণকুন্তীসংবাদ"]]
## [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#রবীন্দ্রনাথের প্রথানুগ নাটক|প্রথানুগ নাটক]]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#রাজা ও রানী ও তপতী|''রাজা ও রানী'' ও ''তপতী'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#বিসর্জন|''বিসর্জন'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#মালিনী|''মালিনী'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#প্রায়শ্চিত্ত ও পরিত্রাণ|''প্রায়শ্চিত্ত'' ও ''পরিত্রাণ'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#রবীন্দ্রনাথের পারিবারিক নাটক: গৃহপ্রবেশ ও শোধবোধ|রবীন্দ্রনাথের পারিবারিক নাটক: ''গৃহপ্রবেশ'' ও ''শোধবোধ'']]
## [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#রবীন্দ্রনাথের প্রহসন বা কৌতুকনাট্য|প্রহসন বা কৌতুকনাট্য]]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#গোড়ায় গলদ ও শেষরক্ষা|''গোড়ায় গলদ'' ও ''শেষরক্ষা'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#বৈকুণ্ঠের খাতা|''বৈকুণ্ঠের খাতা'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#হাস্যকৌতুক ও ব্যঙ্গকৌতুক|''হাস্যকৌতুক'' ও ''ব্যঙ্গকৌতুক'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#চিরকুমার সভা|''চিরকুমার সভা'']]
## [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#রবীন্দ্রনাথের রূপক-সাংকেতিক নাটক|রূপক-সাংকেতিক নাটক]]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#শারদোৎসব ও ঋণশোধ|''শারদোৎসব'' ও ''ঋণশোধ'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#রাজা ও অরূপরতন|''রাজা'' ও ''অরূপরতন'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#অচলায়তন ও গুরু|''অচলায়তন'' ও ''গুরু'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#ডাকঘর|''ডাকঘর'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#ফাল্গুনী|''ফাল্গুনী'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#মুক্তধারা|''মুক্তধারা'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#রক্তকরবী|''রক্তকরবী'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#রথের রশি ও তাসের দেশ|''রথের রশি'' ও ''তাসের দেশ'']]
# [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উপন্যাস|উপন্যাস]]
# [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছোটোগল্প|ছোটোগল্প]]
# [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রবন্ধসাহিত্য|প্রবন্ধসাহিত্য]]
## [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রবন্ধসাহিত্য#প্রবন্ধসাহিত্যের শ্রেণিবিভাগ|প্রবন্ধসাহিত্যের শ্রেণিবিভাগ]]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রবন্ধসাহিত্য#প্রবন্ধসাহিত্যের শ্রেণিবিভাগ|প্রবন্ধসাহিত্যের শ্রেণিবিভাগ]]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রবন্ধসাহিত্য#সমালোচনা, সাহিত্যতত্ত্ব ও সাহিত্য আলোচনা-বিষয়ক প্রবন্ধ|সমালোচনা, সাহিত্যতত্ত্ব ও সাহিত্য আলোচনা-বিষয়ক প্রবন্ধ]]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রবন্ধসাহিত্য#শিক্ষা, সমাজ ও রাজনীতি-বিষয়ক প্রবন্ধ|শিক্ষা, সমাজ ও রাজনীতি-বিষয়ক প্রবন্ধ]]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রবন্ধসাহিত্য#ধর্ম, দর্শন ও অধ্যাত্ম-বিষয়ক প্রবন্ধ|ধর্ম, দর্শন ও অধ্যাত্ম-বিষয়ক প্রবন্ধ]]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রবন্ধসাহিত্য#ভ্রমণসাহিত্য|ভ্রমণসাহিত্য]]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রবন্ধসাহিত্য#পত্রসাহিত্য|পত্রসাহিত্য]]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রবন্ধসাহিত্য#আত্মকথা ও জীবনী|আত্মকথা ও জীবনী]]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রবন্ধসাহিত্য#আবেগধর্মী প্রবন্ধ|আবেগধর্মী প্রবন্ধ]]
## [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রবন্ধসাহিত্য#মূল্যায়ন|মূল্যায়ন]]
# [[/রবীন্দ্রসংগীত|রবীন্দ্রসংগীত]]
{{বিষয়|বাংলা সাহিত্য}}
{{বর্ণানুক্রমিক|আ}}
{{বিষয়|সাহিত্য}}
{{বইয়ের বিষয়শ্রেণী}}
gtq4lsqnzi4is709asa5g5xpn62k5y6
84655
84651
2025-06-17T18:27:57Z
Jonoikobangali
676
/* পর্ব ৩: বাংলা নাটক */
84655
wikitext
text/x-wiki
{{অবস্থা|৫০%}}<p align=center><font size=7 color="DarkBlue"><b>আধুনিক বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস</b></font></p>
==সূচিপত্র==
=== ভূমিকা ===
# [[/আধুনিক যুগের সূত্রপাত|বাংলা সাহিত্যে আধুনিক যুগের সূত্রপাত]]
## [[/আধুনিক যুগের সূত্রপাত#আধুনিকতার লক্ষণ|আধুনিকতার লক্ষণ]]
### [[/আধুনিক যুগের সূত্রপাত#মানবতাবোধ|মানবতাবোধ]]
### [[/আধুনিক যুগের সূত্রপাত#জাতীয়তাবোধ|জাতীয়তাবোধ]]
### [[/আধুনিক যুগের সূত্রপাত#বৈজ্ঞানিক চেতনা ও যুক্তিবাদ|বৈজ্ঞানিক চেতনা ও যুক্তিবাদ]]
## [[/আধুনিক যুগের সূত্রপাত#আধুনিক সাহিত্যের বিকাশ|আধুনিক সাহিত্যের বিকাশ]]
### [[/আধুনিক যুগের সূত্রপাত#গদ্যসাহিত্য|গদ্যসাহিত্য]]
### [[/আধুনিক যুগের সূত্রপাত#কথাসাহিত্য|কথাসাহিত্য]]
### [[/আধুনিক যুগের সূত্রপাত#কাব্যসাহিত্য|কাব্যসাহিত্য]]
### [[/আধুনিক যুগের সূত্রপাত#নাট্যসাহিত্য|নাট্যসাহিত্য]]
## [[/আধুনিক যুগের সূত্রপাত#মূল্যায়ন|মূল্যায়ন]]
=== পর্ব ১: বাংলা গদ্যসাহিত্য ===
# [[/গদ্যসাহিত্যের সূত্রপাত|বাংলা গদ্যসাহিত্যের সূত্রপাত (উনিশ শতকের পূর্ববর্তী বাংলা গদ্যসাহিত্য)]]
## [[/গদ্যসাহিত্যের সূত্রপাত#কোচবিহারের রাজার চিঠি ও অন্যান্য দলিল|কোচবিহারের রাজার চিঠি ও অন্যান্য দলিল]]
## [[/গদ্যসাহিত্যের সূত্রপাত#বৈষ্ণব নিবন্ধে গদ্য|বৈষ্ণব নিবন্ধে গদ্য]]
## [[/গদ্যসাহিত্যের সূত্রপাত#দোমিঙ্গো দে সোসা|দোমিঙ্গো দে সোসা]]
## [[/গদ্যসাহিত্যের সূত্রপাত#দোম আন্তোনিও দে রোজারিও: ব্রাহ্মণ-রোমান-ক্যাথলিক-সংবাদ|দোম আন্তোনিও দে রোজারিও: ''ব্রাহ্মণ-রোমান-ক্যাথলিক-সংবাদ'']]
## [[/গদ্যসাহিত্যের সূত্রপাত#মানোএল দ্য আস্মুম্পসাঁউ: কৃপার শাস্ত্রের অর্থভেদ|মানোএল দ্য আস্মুম্পসাঁউ: ''কৃপার শাস্ত্রের অর্থভেদ'']]
## [[/গদ্যসাহিত্যের সূত্রপাত#অন্যান্য নিদর্শন|অন্যান্য নিদর্শন]]
## [[/গদ্যসাহিত্যের সূত্রপাত#দেশীয় লেখকদের কৃতিত্ব|দেশীয় লেখকদের কৃতিত্ব]]
# [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ|শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ]]
## [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ#শ্রীরামপুর ব্যাপটিস্ট মিশন|শ্রীরামপুর ব্যাপটিস্ট মিশন]]
### [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ#শ্রীরামপুর ব্যাপটিস্ট মিশন প্রতিষ্ঠা|শ্রীরামপুর ব্যাপটিস্ট মিশন প্রতিষ্ঠা]]
### [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ#বাইবেল অনুবাদ|বাইবেল অনুবাদ]]
### [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ#ছাপাখানা প্রতিষ্ঠা ও সাময়িকপত্র|ছাপাখানা প্রতিষ্ঠা ও সাময়িকপত্র]]
### [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ#মিশনারিদের রচনার বৈশিষ্ট্য|মিশনারিদের রচনার বৈশিষ্ট্য]]
## [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ#ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ|ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ]]
### [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ#ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের প্রতিষ্ঠা|ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের প্রতিষ্ঠা]]
### [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ#পণ্ডিত-মুন্সিদের রচনা|পণ্ডিত-মুন্সিদের রচনা]]
#### [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ#উইলিয়াম কেরি|উইলিয়াম কেরি]]
#### [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ#রামরাম বসু|রামরাম বসু]]
#### [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ#মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার|মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার]]
#### [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ#অন্যান্য লেখকবর্গ|অন্যান্য লেখকবর্গ]]
### [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ#পণ্ডিত-মুন্সিদের গদ্যের রচনার বৈশিষ্ট্য|পণ্ডিত-মুন্সিদের গদ্যের রচনার বৈশিষ্ট্য]]
## [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ#মিশনারি ও কলেজের পণ্ডিত-মুন্সিদের গদ্যচর্চার তুলনা|মিশনারি ও কলেজের পণ্ডিত-মুন্সিদের গদ্যচর্চার তুলনা]]
# [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র|উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র]]
## [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#সংবাদপত্রের সূচনা|সংবাদপত্রের সূচনা]]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#দিগ্দর্শন|দিগ্দর্শন]]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#সমাচার-দর্পণ|সমাচার-দর্পণ]]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#গঙ্গাকিশোর ভট্টাচার্যের বেঙ্গল গেজেট|গঙ্গাকিশোর ভট্টাচার্যের ''বেঙ্গল গেজেট'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#সম্বাদ কৌমুদী|''সম্বাদ কৌমুদী'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#সমাচার-চন্দ্রিকা|''সমাচার-চন্দ্রিকা'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#সংবাদ প্রভাকর|''সংবাদ প্রভাকর'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা|''তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#উনিশ শতকের প্রথমার্ধের অন্যান্য পত্রপত্রিকা|উনিশ শতকের প্রথমার্ধের অন্যান্য পত্রপত্রিকা]]
## [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#উনিশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধের পত্রপত্রিকা|উনিশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধের পত্রপত্রিকা]]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#বিবিধার্থ সংগ্রহ|''বিবিধার্থ সংগ্রহ'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#মাসিক পত্রিকা|''মাসিক পত্রিকা'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#এডুকেশন গেজেট|''এডুকেশন গেজেট'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#সোমপ্রকাশ|''সোমপ্রকাশ'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#রহস্য-সন্দর্ভ|''রহস্য-সন্দর্ভ'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#অবোধবন্ধু|''অবোধবন্ধু'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#বঙ্গদর্শন|''বঙ্গদর্শন'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#প্রচার|''প্রচার'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#নবজীবন|''নবজীবন'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#ভারতী|''ভারতী'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#বালক|''বালক'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#সাধনা|''সাধনা'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#বঙ্গবাসী|''বঙ্গবাসী'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#হিতবাদী|''হিতবাদী'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#জন্মভূমি|''জন্মভূমি'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#বামাবোধিনী|''বামাবোধিনী'']]
## [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#পত্রিকাকেন্দ্রিক লেখকগোষ্ঠী|পত্রিকাকেন্দ্রিক লেখকগোষ্ঠী]]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#তত্ত্ববোধিনী গোষ্ঠী|তত্ত্ববোধিনী গোষ্ঠী]]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#বঙ্গদর্শন গোষ্ঠী|বঙ্গদর্শন গোষ্ঠী]]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#ভারতী ও সাধনা গোষ্ঠী|ভারতী ও সাধনা গোষ্ঠী]]
## [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#অবদান|অবদান]]
# [[/রাজা রামমোহন রায়|রাজা রামমোহন রায়]]
## [[/রাজা রামমোহন রায়#রামমোহন রায়ের রচনাবলি|রামমোহন রায়ের রচনাবলি]]
## [[/রাজা রামমোহন রায়#রামমোহন রায়ের গদ্যরীতি|রামমোহন রায়ের গদ্যরীতি]]
## [[/রাজা রামমোহন রায়#গদ্যশিল্পে রামমোহন রায়ের প্রভাব|গদ্যশিল্পে রামমোহন রায়ের প্রভাব]]
# [[/অক্ষয়কুমার দত্ত|অক্ষয়কুমার দত্ত]]
# [[/ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর|ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর]]
## [[/ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর#অনুবাদ সাহিত্য|অনুবাদ সাহিত্য]]
## [[/ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর#মৌলিক রচনা|মৌলিক রচনা]]
## [[/ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর#বিদ্যাসাগরের গদ্যরীতির বৈশিষ্ট্য|বিদ্যাসাগরের গদ্যরীতির বৈশিষ্ট্য]]
## [[/ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর#‘বাংলা গদ্যের জনক’|‘বাংলা গদ্যের জনক’]]
# [[/দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর|দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর]]
# [[/ভূদেব মুখোপাধ্যায়|ভূদেব মুখোপাধ্যায়]]
# [[/রাজনারায়ণ বসু|রাজনারায়ণ বসু]]
# [[/বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রবন্ধসাহিত্য|বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রবন্ধসাহিত্য]]
## [[/বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রবন্ধসাহিত্য#বঙ্কিমচন্দ্রের প্রবন্ধসাহিত্যে বৈচিত্র্য|বৈচিত্র্য]]
## [[/বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রবন্ধসাহিত্য#জ্ঞানচর্চামূলক প্রবন্ধ|জ্ঞানচর্চামূলক প্রবন্ধ]]
## [[/বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রবন্ধসাহিত্য#বিচারমূলক প্রবন্ধ|বিচারমূলক প্রবন্ধ]]
## [[/বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রবন্ধসাহিত্য#রসব্যঞ্জনামূলক প্রবন্ধ|রসব্যঞ্জনামূলক প্রবন্ধ]]
## [[/বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রবন্ধসাহিত্য#প্রবন্ধসাহিত্যে বঙ্কিমচন্দ্রের অবদান|অবদান]]
# [[/বঙ্কিম-সমকালীন প্রাবন্ধিক গোষ্ঠী|বঙ্কিম-সমকালীন প্রাবন্ধিক গোষ্ঠী]]
# [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক বাংলা প্রবন্ধসাহিত্য|রবীন্দ্র-সমসাময়িক প্রবন্ধসাহিত্য]]
## [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক বাংলা প্রবন্ধসাহিত্য#বলেন্দ্রনাথ ঠাকুর|বলেন্দ্রনাথ ঠাকুর]]
## [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক বাংলা প্রবন্ধসাহিত্য#অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর|অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর]]
## [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক বাংলা প্রবন্ধসাহিত্য#রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদী|রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদী]]
## [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক বাংলা প্রবন্ধসাহিত্য#প্রমথ চৌধুরী|প্রমথ চৌধুরী]]
## [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক বাংলা প্রবন্ধসাহিত্য#পাঁচকড়ি বন্দ্যোপাধ্যায়|পাঁচকড়ি বন্দ্যোপাধ্যায়]]
## [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক বাংলা প্রবন্ধসাহিত্য#মোহিতলাল মজুমদার|মোহিতলাল মজুমদার]]
## [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক বাংলা প্রবন্ধসাহিত্য#রবীন্দ্র-পরবর্তীকালের বাংলা প্রবন্ধসাহিত্য|রবীন্দ্র-পরবর্তীকালের বাংলা প্রবন্ধসাহিত্য]]
===পরিশিষ্ট: বাংলা গদ্যসাহিত্য===
# [[/রামমোহন, বিদ্যাসাগর ও অক্ষয়কুমারের অবদান|রামমোহন, বিদ্যাসাগর ও অক্ষয়কুমারের অবদান]]
# [[/বাংলা গদ্যে আলালী ও বিদ্যাসাগরী রীতির বিবর্তন|বাংলা গদ্যে আলালী ও বিদ্যাসাগরী রীতির বিবর্তন]]
# [[/বাংলা গদ্যে চলিত রীতির বিবর্তন|বাংলা গদ্যে চলিত রীতি বিবর্তন]]
# [[/ভূদেব মুখোপাধ্যায় ও বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়|ভূদেব মুখোপাধ্যায় ও বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়]]
=== পর্ব ২: বাংলা উপন্যাস ও ছোটোগল্প ===
# [[/উপন্যাসের সূত্রপাত|বাংলা সাহিত্যে উপন্যাসের সূত্রপাত]]
## [[/উপন্যাসের সূত্রপাত#উপন্যাসের সূত্রপাত|উপন্যাসের সূত্রপাত]]
## [[/উপন্যাসের সূত্রপাত#উপন্যাস রচনার প্রথম প্রচেষ্টা|উপন্যাস রচনার প্রথম প্রচেষ্টা]]
## [[/উপন্যাসের সূত্রপাত#হানা ক্যাথারিন মুলেন্সের ফুলমণি ও করুণার বৃত্তান্ত|হানা ক্যাথারিন মুলেন্সের ''ফুলমণি ও করুণার বৃত্তান্ত'']]
## [[/উপন্যাসের সূত্রপাত#প্যারীচাঁদ মিত্রের আলালের ঘরের দুলাল|প্যারীচাঁদ মিত্রের ''আলালের ঘরের দুলাল'']]
## [[/উপন্যাসের সূত্রপাত#কালীপ্রসন্ন সিংহের হুতোম প্যাঁচার নক্সা|কালীপ্রসন্ন সিংহের ''হুতোম প্যাঁচার নক্সা'']]
## [[/উপন্যাসের সূত্রপাত#রোম্যান্স রচনার সূত্রপাত|রোম্যান্স রচনার সূত্রপাত: ভূদেব মুখোপাধ্যায়, কৃষ্ণকমল ভট্টাচার্য ও গোপীমোহন ঘোষ]]
## [[/উপন্যাসের সূত্রপাত#সূচনা পর্বের উপন্যাসের সাহিত্যমূল্য|সূচনা পর্বের উপন্যাসের সাহিত্যমূল্য]]
# [[/বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের উপন্যাস|বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের উপন্যাস]]
# [[/বঙ্কিম-সমকালীন ঔপন্যাসিক গোষ্ঠী|বঙ্কিম-সমকালীন ঔপন্যাসিক গোষ্ঠী]]
## [[/বঙ্কিম-সমকালীন ঔপন্যাসিক গোষ্ঠী#রমেশচন্দ্র দত্ত|রমেশচন্দ্র দত্ত]]
## [[/বঙ্কিম-সমকালীন ঔপন্যাসিক গোষ্ঠী#সঞ্জীবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়|সঞ্জীবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়]]
## [[/বঙ্কিম-সমকালীন ঔপন্যাসিক গোষ্ঠী#তারকনাথ গঙ্গোপাধ্যায়|তারকনাথ গঙ্গোপাধ্যায়]]
## [[/বঙ্কিম-সমকালীন ঔপন্যাসিক গোষ্ঠী#প্রতাপচন্দ্র ঘোষ|প্রতাপচন্দ্র ঘোষ]]
## [[/বঙ্কিম-সমকালীন ঔপন্যাসিক গোষ্ঠী#স্বর্ণকুমারী দেবী|স্বর্ণকুমারী দেবী]]
## [[/বঙ্কিম-সমকালীন ঔপন্যাসিক গোষ্ঠী#বঙ্কিমযুগের অন্যান্য ঔপন্যাসিক|বঙ্কিমযুগের অন্যান্য ঔপন্যাসিক]]
# [[/বিশ শতকের বাংলা উপন্যাস|বিশ শতকের বাংলা উপন্যাস]]
# [[/প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়ের উপন্যাস|প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়ের উপন্যাস]]
# [[/শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের উপন্যাস|শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের উপন্যাস]]
# [[/শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ছোটোগল্প|শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ছোটোগল্প]]
# [[/বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়|বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়]]
# [[/তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়|তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়]]
# [[/মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়|মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়]]
# [[/বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায়|বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায়]]
# [[/দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী যুগের ছোটোগল্প ও উপন্যাস|দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী যুগের ছোটোগল্প ও উপন্যাস]]
## [[/দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী যুগের ছোটোগল্প ও উপন্যাস#হৃদয়বৃত্তিমূলক কথাসাহিত্য|হৃদয়বৃত্তিমূলক কথাসাহিত্য]]
## [[/দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী যুগের ছোটোগল্প ও উপন্যাস#চিন্তামূলক মননশীল কথাসাহিত্য|চিন্তামূলক মননশীল কথাসাহিত্য]]
## [[/দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী যুগের ছোটোগল্প ও উপন্যাস#বিকৃত-চিন্তামূলক বিদ্রোহাত্মক কথাসাহিত্য|বিকৃত-চিন্তামূলক বিদ্রোহাত্মক কথাসাহিত্য]]
## [[/দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী যুগের ছোটোগল্প ও উপন্যাস#বাস্তববুদ্ধিমূলক মানবিক কথাসাহিত্য|বাস্তববুদ্ধিমূলক মানবিক কথাসাহিত্য]]
## [[/দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী যুগের ছোটোগল্প ও উপন্যাস#কৌতুকরসাত্মক কথাসাহিত্য|কৌতুকরসাত্মক কথাসাহিত্য]]
=== পর্ব ৩: বাংলা নাটক ===
# [[/আধুনিক বাংলা নাটকের উদ্ভব|আধুনিক বাংলা নাটকের উদ্ভব]]
## [[/আধুনিক বাংলা নাটকের উদ্ভব#যাত্রার আদিরূপ|যাত্রার আদিরূপ]]
## [[/আধুনিক বাংলা নাটকের উদ্ভব#মধ্যযুগে নাট্যরস পরিবেশনের প্রয়াস|মধ্যযুগে নাট্যরস পরিবেশনের প্রয়াস]]
## [[/আধুনিক বাংলা নাটকের উদ্ভব#যাত্রা|যাত্রা]]
## [[/আধুনিক বাংলা নাটকের উদ্ভব#নতুন যাত্রাপদ্ধতি ও গীতাভিনয়|নতুন যাত্রাপদ্ধতি ও গীতাভিনয়]]
## [[/আধুনিক বাংলা নাটকের উদ্ভব#যাত্রাপালা এবং মির্যাকল প্লে ও মর্যালিটি প্লে|যাত্রাপালা এবং মির্যাকল প্লে ও মর্যালিটি প্লে]]
## [[/আধুনিক বাংলা নাটকের উদ্ভব#ইংরেজি নাট্যশালার আদর্শ ও বাংলা নাটক|ইংরেজি নাট্যশালার আদর্শ ও বাংলা নাটক]]
# [[/সাধারণ নাট্যশালা প্রতিষ্ঠার পূর্ববর্তী নাট্যশালা|সাধারণ নাট্যশালা প্রতিষ্ঠার পূর্ববর্তী নাট্যশালা]]
## [[/সাধারণ নাট্যশালা প্রতিষ্ঠার পূর্ববর্তী নাট্যশালা#প্লে হাউস ও অন্যান্য ইংরেজি নাট্যশালা|প্লে হাউস ও অন্যান্য ইংরেজি নাট্যশালা]]
## [[/সাধারণ নাট্যশালা প্রতিষ্ঠার পূর্ববর্তী নাট্যশালা#গেরাসিম লেবেদেভ ও বেঙ্গলি থিয়েটার|গেরাসিম লেবেদেভ ও বেঙ্গলি থিয়েটার]]
## [[/সাধারণ নাট্যশালা প্রতিষ্ঠার পূর্ববর্তী নাট্যশালা#হিন্দু থিয়েটার ও নবীন বসুর বাড়ির নাট্যশালা|হিন্দু থিয়েটার ও নবীন বসুর বাড়ির নাট্যশালা]]
## [[/সাধারণ নাট্যশালা প্রতিষ্ঠার পূর্ববর্তী নাট্যশালা#ওরিয়েন্টাল থিয়েটার|ওরিয়েন্টাল থিয়েটার]]
## [[/সাধারণ নাট্যশালা প্রতিষ্ঠার পূর্ববর্তী নাট্যশালা#সংস্কৃত নাটকের বঙ্গানুবাদ ও প্রথম মৌলিক বাংলা নাটকের অভিনয়|সংস্কৃত নাটকের বঙ্গানুবাদ ও প্রথম মৌলিক বাংলা নাটকের অভিনয়]]
## [[/সাধারণ নাট্যশালা প্রতিষ্ঠার পূর্ববর্তী নাট্যশালা#বেলগাছিয়া থিয়েটার ও মাইকেল মধুসূদন দত্ত|বেলগাছিয়া থিয়েটার ও মাইকেল মধুসূদন দত্ত]]
## [[/সাধারণ নাট্যশালা প্রতিষ্ঠার পূর্ববর্তী নাট্যশালা#ন্যাশনাল থিয়েটার: বাংলার প্রথম সাধারণ নাট্যশালা|ন্যাশনাল থিয়েটার: বাংলার প্রথম সাধারণ নাট্যশালা]]
# [[/আদি পর্বের অনুবাদ ও মৌলিক নাটক|আদি পর্বের অনুবাদ ও মৌলিক নাটক]]
# [[/রামনারায়ণ তর্করত্ন|রামনারায়ণ তর্করত্ন]]
## [[/রামনারায়ণ তর্করত্ন#কুলীনকুলসর্বস্ব|''কুলীনকুলসর্বস্ব'']]
## [[/রামনারায়ণ তর্করত্ন#অন্যান্য নাটক|অন্যান্য নাটক]]
## [[/রামনারায়ণ তর্করত্ন#মূল্যায়ন|মূল্যায়ন]]
# [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের নাট্যসাহিত্য|মাইকেল মধুসূদন দত্ত]]
## [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের নাট্যসাহিত্য#প্রাক্-মধুসূদন যুগের বাংলা নাটক ও মধুসূদন|প্রাক্-মধুসূদন যুগের বাংলা নাটক ও মধুসূদন]]
## [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের নাট্যসাহিত্য#পৌরাণিক নাটক|পৌরাণিক নাটক]]
### [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের নাট্যসাহিত্য#''শর্মিষ্ঠা''|''শর্মিষ্ঠা'']]
### [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের নাট্যসাহিত্য#''পদ্মাবতী''|''পদ্মাবতী'']]
## [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের নাট্যসাহিত্য#ঐতিহাসিক নাটক: ট্র্যাজেডি|ঐতিহাসিক নাটক: ট্র্যাজেডি]]
### [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের নাট্যসাহিত্য#''কৃষ্ণকুমারী''|''কৃষ্ণকুমারী'']]
## [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের নাট্যসাহিত্য#প্রহসন|প্রহসন: ''একেই কি বলে সভ্যতা'' ও ''বুড়ো শালিকের ঘাড়ে রোঁ'']]
## [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের নাট্যসাহিত্য#প্রহসন|অন্যান্য নাটক: ''মায়াকানন'' ও ''বিষ না ধনুর্গুণ'']]
## [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের নাট্যসাহিত্য#বাংলা নাটকের ইতিহাসে মাইকেল মধুসূদন দত্তের স্থান|বাংলা নাটকের ইতিহাসে মাইকেল মধুসূদন দত্তের স্থান]]
# [[/দীনবন্ধু মিত্র|দীনবন্ধু মিত্র]]
## [[/দীনবন্ধু মিত্র#সামাজিক নাটক|সামাজিক নাটক]]
### [[/দীনবন্ধু মিত্র#নীলদর্পণ|''নীলদর্পণ'']]
#### [[/দীনবন্ধু মিত্র#নীল বিদ্রোহ ও নীলদর্পণ নাটক|নীল বিদ্রোহ ও ''নীলদর্পণ'' নাটক]]
#### [[/দীনবন্ধু মিত্র#নীলদর্পণ নাটকের সংক্ষিপ্ত কাহিনি|''নীলদর্পণ'' নাটকের সংক্ষিপ্ত কাহিনি]]
#### [[/দীনবন্ধু মিত্র#সমালোচনা|সমালোচনা]]
## [[/দীনবন্ধু মিত্র#অন্যান্য নাটক|অন্যান্য নাটক]]
### [[/দীনবন্ধু মিত্র#প্রহসন|প্রহসন]]
#### [[/দীনবন্ধু মিত্র#সধবার একাদশী ও নিমচাঁদ চরিত্র|''সধবার একাদশী'' ও নিমচাঁদ চরিত্র]]
## [[/দীনবন্ধু মিত্র#বাংলা নাট্যসাহিত্যে দীনবন্ধু মিত্রের অবদান|বাংলা নাট্যসাহিত্যে দীনবন্ধু মিত্রের অবদান]]
# [[/মনোমোহন বসু|মনোমোহন বসু]]
# [[/জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর|জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর]]
## [[/জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর#জ্যোতিরিন্দ্রনাথের ঐতিহাসিক নাটক|ঐতিহাসিক নাটক]]
## [[/জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর#জ্যোতিরিন্দ্রনাথের প্রহসন|প্রহসন]]
## [[/জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর#জ্যোতিরিন্দ্রনাথের অনুবাদ নাটক|অনুবাদ নাটক]]
# [[/উপেন্দ্রনাথ দাস|উপেন্দ্রনাথ দাস]]
# [[/রাজকৃষ্ণ রায়|রাজকৃষ্ণ রায়]]
# [[/গিরিশচন্দ্র ঘোষ|গিরিশচন্দ্র ঘোষ]]
# [[/অমৃতলাল বসু|অমৃতলাল বসু]]
# [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়|দ্বিজেন্দ্রলাল রায়]]
## [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#প্রহসন|প্রহসন]]
### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#কল্কি অবতার|''কল্কি অবতার'']]
### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#বিরহ|''বিরহ'']]
### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#ত্র্যহস্পর্শ|''ত্র্যহস্পর্শ'']]
### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#প্রায়শ্চিত্ত|''প্রায়শ্চিত্ত'']]
### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#পুনর্জন্ম|''পুনর্জন্ম'']]
### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#আনন্দবিদায়|''আনন্দবিদায়'']]
## [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#পৌরাণিক নাটক|পৌরাণিক নাটক]]
### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#পাষাণী|''পাষাণী'']]
### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#সীতা|''সীতা'']]
### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#ভীষ্ম|''ভীষ্ম'']]
## [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#সামাজিক নাটক|সামাজিক নাটক]]
### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#পরপারে|''পরপারে'']]
### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#বঙ্গনারী|''বঙ্গনারী'']]
## [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#অপেরা|অপেরা]]
### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#সোরাব-রুস্তম|''সোরাব-রুস্তম'']]
## [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#ঐতিহাসিক নাটক|ঐতিহাসিক নাটক]]
### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#রাজপুত ইতিহাস-নির্ভর ঐতিহাসিক নাটক|রাজপুত ইতিহাস-নির্ভর ঐতিহাসিক নাটক]]
#### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#তারাবাঈ|''তারাবাঈ'']]
#### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#রাণা প্রতাপ সিংহ|''রাণা প্রতাপ সিংহ'']]
#### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#দুর্গাদাস|''দুর্গাদাস'']]
#### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#মেবার পতন|''মেবার পতন'']]
### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#অন্যান্য ঐতিহাসিক নাটক|অন্যান্য ঐতিহাসিক নাটক]]
#### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#নূরজাহান|''নূরজাহান'']]
#### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#সাজাহান|''সাজাহান'']]
#### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#চন্দ্রগুপ্ত|''চন্দ্রগুপ্ত'']]
#### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#সিংহল বিজয়|''সিংহল বিজয়'']]
## [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#দ্বিজেন্দ্রলালের নাটকে সংলাপের ভাষা|দ্বিজেন্দ্রলালের নাটকে সংলাপের ভাষা]]
## [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#মূল্যায়ন|মূল্যায়ন]]
# [[/ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ|ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ]]
## [[/ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ#অপেরা বা গীতিমুখর নাটক|অপেরা বা গীতিমুখর নাটক]]
## [[/ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ#পৌরাণিক নাটক|পৌরাণিক নাটক]]
## [[/ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ#কাল্পনিক নাটক|কাল্পনিক নাটক]]
## [[/ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ#অপেরা বা গীতিমুখর নাটক|অপেরা বা গীতিমুখর নাটক]]
## [[/ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ#ঐতিহাসিক নাটক|ঐতিহাসিক নাটক]]
## [[/ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ#মূল্যায়ন|মূল্যায়ন]]
# [[/বিশ শতকের বাংলা নাটক|বিশ শতকের বাংলা নাটক]]
## [[/বিশ শতকের বাংলা নাটক#অপরেশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়|অপরেশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়]]
## [[/বিশ শতকের বাংলা নাটক#গতানুগতিক ধারার নাট্যকারগণ|গতানুগতিক ধারার নাট্যকারগণ]]
## [[/বিশ শতকের বাংলা নাটক#যোগেশচন্দ্র চৌধুরী|যোগেশচন্দ্র চৌধুরী]]
## [[/বিশ শতকের বাংলা নাটক#মন্মথ রায়|মন্মথ রায়]]
## [[/বিশ শতকের বাংলা নাটক#শচীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত|শচীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত]]
## [[/বিশ শতকের বাংলা নাটক#বিধায়ক ভট্টাচার্য|বিধায়ক ভট্টাচার্য]]
## [[/বিশ শতকের বাংলা নাটক#প্রমথনাথ বিশী|প্রমথনাথ বিশী]]
## [[/বিশ শতকের বাংলা নাটক#জীবনী নাটক|জীবনী নাটক]]
## [[/বিশ শতকের বাংলা নাটক#নবনাট্য আন্দোলন|নবনাট্য আন্দোলন]]
## [[/বিশ শতকের বাংলা নাটক#বিদেশি নাটকের বঙ্গীকরণ|বিদেশি নাটকের বঙ্গীকরণ]]
# [[/পৌরাণিক নাটক|বাংলা পৌরাণিক নাটকের বিকাশ]]
## [[/পৌরাণিক নাটক#প্রথম পর্বের বাংলা পৌরাণিক নাটক|প্রথম পর্ব: হরচন্দ্র ঘোষ, কালীপ্রসন্ন সিংহ, মাইকেল মধুসূদন দত্ত ও রামনারায়ণ তর্করত্ন]]
## [[/পৌরাণিক নাটক#দ্বিতীয় পর্বের বাংলা পৌরাণিক নাটক|দ্বিতীয় পর্ব: মনোমোহন বসু, রাজকৃষ্ণ রায়, অতুলকৃষ্ণ মিত্র ও গিরিশচন্দ্র ঘোষ]]
## [[/পৌরাণিক নাটক#তৃতীয় পর্বের বাংলা পৌরাণিক নাটক|তৃতীয় পর্ব: দ্বিজেন্দ্রলাল রায়, ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ, অপরেশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়, ভূপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, যোগেশচন্দ্র চৌধুরী, মন্মথ রায় ও মহেন্দ্র গুপ্ত]]
## [[/পৌরাণিক নাটক#বাংলা পৌরাণিক নাটকের পরিণতি|পরিণতি]]
# [[/ঐতিহাসিক নাটক|বাংলা ঐতিহাসিক নাটকের বিকাশ]]
## [[/ঐতিহাসিক নাটক#প্রথম পর্ব: মাইকেল মধুসূদন দত্ত|প্রথম পর্ব: মাইকেল মধুসূদন দত্ত]]
## [[/ঐতিহাসিক নাটক#দ্বিতীয় পর্ব: জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর, ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ, দ্বিজেন্দ্রলাল রায়, গিরিশচন্দ্র ঘোষ ও অন্যান্য নাট্যকার|দ্বিতীয় পর্ব: জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর, ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ, দ্বিজেন্দ্রলাল রায়, গিরিশচন্দ্র ঘোষ ও অন্যান্য নাট্যকার]]
## [[/ঐতিহাসিক নাটক#তৃতীয় পর্ব: যোগেশচন্দ্র চৌধুরী ও অন্যান্য নাট্যকার|তৃতীয় পর্ব: যোগেশচন্দ্র চৌধুরী ও অন্যান্য নাট্যকার]]
# [[/সামাজিক ও পারিবারিক নাটক|বাংলা সামাজিক ও পারিবারিক নাটকের বিকাশ]]
## [[/সামাজিক ও পারিবারিক নাটক#প্রথম পর্বের সামাজিক নাটক|প্রথম পর্বের সামাজিক নাটক: রামনারায়ণ তর্করত্ন, উমেশচন্দ্র মিত্র, দীনবন্ধু মিত্র ও অন্যান্য]]
## [[/সামাজিক ও পারিবারিক নাটক#দ্বিতীয় পর্বের সামাজিক ও পারিবারিক নাটক|দ্বিতীয় পর্বের সামাজিক ও পারিবারিক নাটক: উপেন্দ্রনাথ দাস, গিরিশচন্দ্র ঘোষ, দ্বিজেন্দ্রলাল রায় ও অন্যান্য]]
## [[/সামাজিক ও পারিবারিক নাটক#তৃতীয় পর্বের পারিবারিক নাটক|তৃতীয় পর্বের পারিবারিক নাটক: শচীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত, জলধর চট্টোপাধ্যায়, মহেন্দ্র গুপ্ত ও বিধায়ক ভট্টাচার্য]]
## [[/সামাজিক ও পারিবারিক নাটক#চতুর্থ পর্বের আধুনিক সমাজ-সচেতন নাটক|চতুর্থ পর্বের আধুনিক সমাজ-সচেতন নাটক: বিজন ভট্টাচার্য, তুলসী লাহিড়ী, সলিল সেন ও অন্যান্য]]
# [[/প্রহসন|বাংলা প্রহসনের বিকাশ]]
## [[/প্রহসন#প্রথম পর্বের প্রহসন: রামনারায়ণ তর্করত্ন, কালীপ্রসন্ন সিংহ, মাইকেল মধুসূদন দত্ত, দীনবন্ধু মিত্র ও জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর|প্রথম পর্বের প্রহসন: রামনারায়ণ তর্করত্ন, কালীপ্রসন্ন সিংহ, মাইকেল মধুসূদন দত্ত, দীনবন্ধু মিত্র ও জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর]]
## [[/প্রহসন#দ্বিতীয় পর্বের প্রহসন: গিরিশচন্দ্র ঘোষ, অমৃতলাল বসু, দ্বিজেন্দ্রলাল রায়, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর|দ্বিতীয় পর্বের প্রহসন: গিরিশচন্দ্র ঘোষ, অমৃতলাল বসু, দ্বিজেন্দ্রলাল রায়, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর]]
## [[/প্রহসন#তৃতীয় পর্বের প্রহসন: রবীন্দ্রনাথ মৈত্র, প্রমথনাথ বিশী, বিধায়ক ভট্টাচার্য প্রমুখ|তৃতীয় পর্বের প্রহসন: রবীন্দ্রনাথ মৈত্র, প্রমথনাথ বিশী, বিধায়ক ভট্টাচার্য প্রমুখ]]
=== পর্ব ৪: আধুনিক বাংলা কাব্যসাহিত্য ===
# [[/কবিওয়ালা|কবিওয়ালা]]
# [[/ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত|ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত]]
# [[/মদনমোহন তর্কালঙ্কার|মদনমোহন তর্কালঙ্কার]]
# [[/উনিশ শতকের মহাকাব্য ও আখ্যানকাব্য|উনিশ শতকের বাংলা মহাকাব্য ও আখ্যানকাব্য]]
## [[/উনিশ শতকের মহাকাব্য ও আখ্যানকাব্য#আখ্যানকাব্যের বৈশিষ্ট্য|আখ্যানকাব্যের বৈশিষ্ট্য]]
## [[/উনিশ শতকের মহাকাব্য ও আখ্যানকাব্য#মহাকাব্যের বৈশিষ্ট্য|মহাকাব্যের বৈশিষ্ট্য]]
### [[/উনিশ শতকের মহাকাব্য ও আখ্যানকাব্য#মাইকেল মধুসূদন দত্তের মহাকাব্য|মাইকেল মধুসূদন দত্তের মহাকাব্য]]
### [[/উনিশ শতকের মহাকাব্য ও আখ্যানকাব্য#হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের মহাকাব্য ও আখ্যানকাব্য|হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের মহাকাব্য ও আখ্যানকাব্য]]
### [[/উনিশ শতকের মহাকাব্য ও আখ্যানকাব্য#নবীনচন্দ্র সেনের মহাকাব্য ও আখ্যানকাব্য|নবীনচন্দ্র সেনের মহাকাব্য ও আখ্যানকাব্য]]
## [[/উনিশ শতকের মহাকাব্য ও আখ্যানকাব্য#বাংলা মহাকাব্যের পরিণতি|বাংলা মহাকাব্যের পরিণতি]]
## [[/উনিশ শতকের মহাকাব্য ও আখ্যানকাব্য#বাংলা আখ্যানকাব্যের পরিণতি|বাংলা আখ্যানকাব্যের পরিণতি]]
# [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের কাব্যসাহিত্য|মাইকেল মধুসূদন দত্ত]]
## [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের কাব্যসাহিত্য#কাব্যসাহিত্য|কাব্যসাহিত্য]]
### [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের কাব্যসাহিত্য#তিলোত্তমাসম্ভব কাব্য|''তিলোত্তমাসম্ভব কাব্য'']]
### [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের কাব্যসাহিত্য#মেঘনাদবধ কাব্য|''মেঘনাদবধ কাব্য'']]
### [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের কাব্যসাহিত্য#ব্রজাঙ্গনা কাব্য|''ব্রজাঙ্গনা কাব্য'']]
### [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের কাব্যসাহিত্য#বীরাঙ্গনা কাব্য|''বীরাঙ্গনা কাব্য'']]
### [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের কাব্যসাহিত্য#চতুর্দশপদী কবিতাবলী|''চতুর্দশপদী কবিতাবলী'']]
## [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের কাব্যসাহিত্য#মূল্যায়ন|মূল্যায়ন]]
# [[/হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়|হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়]]
# [[/নবীনচন্দ্র সেন|নবীনচন্দ্র সেন]]
# [[/বিহারীলাল চক্রবর্তী|বিহারীলাল চক্রবর্তী]]
## [[/বিহারীলাল চক্রবর্তী#রচনাবলি|রচনাবলি]]
## [[/বিহারীলাল চক্রবর্তী#কবিপ্রতিভার বৈশিষ্ট্য|কবিপ্রতিভার বৈশিষ্ট্য]]
## [[/বিহারীলাল চক্রবর্তী#শৈল্পিক ত্রুটি|শৈল্পিক ত্রুটি]]
## [[/বিহারীলাল চক্রবর্তী#বিশুদ্ধ গীতিকবিতার জনক বিহারীলাল|বিশুদ্ধ গীতিকবিতার জনক বিহারীলাল]]
# [[/আখ্যানকাব্য ও গীতিকাব্যের ধারা ও পরিণাম|বাংলা আখ্যানকাব্য ও গীতিকাব্যের ধারা ও পরিণাম]]
# [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক কবিগণ|রবীন্দ্র-সমসাময়িক কবিগণ]]
## [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক কবিগণ#রবীন্দ্র-পরিমণ্ডলের অন্তর্ভুক্ত কবিগণ|রবীন্দ্র-পরিমণ্ডলের অন্তর্ভুক্ত কবিগণ]]
## [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক কবিগণ#রবীন্দ্র-প্রভাবিক কবিগোষ্ঠী|রবীন্দ্র-প্রভাবিক কবিগোষ্ঠী]]
### [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক কবিগণ#দ্বিজেন্দ্রলাল রায়|দ্বিজেন্দ্রলাল রায়]]
### [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক কবিগণ#সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত|সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত]]
### [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক কবিগণ#করুণানিধন বন্দ্যোপাধ্যায়|করুণানিধন বন্দ্যোপাধ্যায়]]
### [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক কবিগণ#যতীন্দ্রমোহন বাগচি|যতীন্দ্রমোহন বাগচি]]
### [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক কবিগণ#কুমুদরঞ্জন মল্লিক, কালিদাস রায় ও কিরণধন চট্টোপাধ্যায়|কুমুদরঞ্জন মল্লিক, কালিদাস রায় ও কিরণধন চট্টোপাধ্যায়]]
## [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক কবিগণ#রবীন্দ্রবিরোধী কবিগোষ্ঠী|রবীন্দ্রবিরোধী কবিগোষ্ঠী]]
### [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক কবিগণ#মোহিতলাল মজুমদার|মোহিতলাল মজুমদার]]
### [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক কবিগণ#যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত|যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত]]
### [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক কবিগণ#কাজী নজরুল ইসলাম|কাজী নজরুল ইসলাম]]
# [[/উনিশ শতকের মহিলা কবিগণ|উনিশ শতকের মহিলা কবিগণ]]
## [[/উনিশ শতকের মহিলা কবিগণ#মোক্ষদায়িনী মুখোপাধ্যায়|মোক্ষদায়িনী মুখোপাধ্যায়]]
## [[/উনিশ শতকের মহিলা কবিগণ#স্বর্ণকুমারী দেবী|স্বর্ণকুমারী দেবী]]
## [[/উনিশ শতকের মহিলা কবিগণ#গিরীন্দ্রমোহিনী দাসী|গিরীন্দ্রমোহিনী দাসী]]
## [[/উনিশ শতকের মহিলা কবিগণ#মানকুমারী বসু|মানকুমারী বসু]]
## [[/উনিশ শতকের মহিলা কবিগণ#কামিনী রায়|কামিনী রায়]]
## [[/উনিশ শতকের মহিলা কবিগণ#সরোজকুমারী দেবী|সরোজকুমারী দেবী]]
## [[/উনিশ শতকের মহিলা কবিগণ#অন্যান্য মহিলা কবিগণ|অন্যান্য মহিলা কবিগণ]]
# [[/রবীন্দ্র-পরবর্তী বাংলা কবিতা|রবীন্দ্র-পরবর্তী বাংলা কবিতা]]
## [[/রবীন্দ্র-পরবর্তী বাংলা কবিতা#বুদ্ধদেব বসু|বুদ্ধদেব বসু]]
## [[/রবীন্দ্র-পরবর্তী বাংলা কবিতা#জীবনানন্দ দাশ|জীবনানন্দ দাশ]]
## [[/রবীন্দ্র-পরবর্তী বাংলা কবিতা#অজিত দত্ত|অজিত দত্ত]]
## [[/রবীন্দ্র-পরবর্তী বাংলা কবিতা#সুধীন্দ্রনাথ দত্ত|সুধীন্দ্রনাথ দত্ত]]
## [[/রবীন্দ্র-পরবর্তী বাংলা কবিতা#বিষ্ণু দে|বিষ্ণু দে]]
## [[/রবীন্দ্র-পরবর্তী বাংলা কবিতা#প্রেমেন্দ্র মিত্র|প্রেমেন্দ্র মিত্র]]
## [[/রবীন্দ্র-পরবর্তী বাংলা কবিতা#অমিয় চক্রবর্তী|অমিয় চক্রবর্তী]]
## [[/রবীন্দ্র-পরবর্তী বাংলা কবিতা#সমর সেন|সমর সেন]]
## [[/রবীন্দ্র-পরবর্তী বাংলা কবিতা#সুকান্ত ভট্টাচার্য|সুকান্ত ভট্টাচার্য]]
## [[/রবীন্দ্র-পরবর্তী বাংলা কবিতা#অন্যান্য কবিগণ|অন্যান্য কবিগণ]]
=== পর্ব ৫: রবীন্দ্রসাহিত্য ===
# [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতা|কবিতা]]
# [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক|নাটক]]
## [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#রবীন্দ্রনাথের গীতিনাট্য: বাল্মীকিপ্রতিভা, কালমৃগয়া ও মায়ার খেলা|রবীন্দ্রনাথের গীতিনাট্য: ''বাল্মীকিপ্রতিভা'', ''কালমৃগয়া'' ও ''মায়ার খেলা'']]
## [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#রবীন্দ্রনাথের কাব্যনাট্য|কাব্যনাট্য]]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#প্রকৃতির প্রতিশোধ|''প্রকৃতির প্রতিশোধ'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#চিত্রাঙ্গদা|''চিত্রাঙ্গদা'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#বিদায় অভিশাপ|''বিদায় অভিশাপ'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#কাহিনী গ্রন্থের কাব্যনাট্যসমূহ|''কাহিনী'' গ্রন্থের কাব্যনাট্যসমূহ: "গান্ধারীর আবেদন", "সতী", "নরকবাস", "লক্ষ্মীর পরীক্ষা" ও "কর্ণকুন্তীসংবাদ"]]
## [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#রবীন্দ্রনাথের প্রথানুগ নাটক|প্রথানুগ নাটক]]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#রাজা ও রানী ও তপতী|''রাজা ও রানী'' ও ''তপতী'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#বিসর্জন|''বিসর্জন'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#মালিনী|''মালিনী'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#প্রায়শ্চিত্ত ও পরিত্রাণ|''প্রায়শ্চিত্ত'' ও ''পরিত্রাণ'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#রবীন্দ্রনাথের পারিবারিক নাটক: গৃহপ্রবেশ ও শোধবোধ|রবীন্দ্রনাথের পারিবারিক নাটক: ''গৃহপ্রবেশ'' ও ''শোধবোধ'']]
## [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#রবীন্দ্রনাথের প্রহসন বা কৌতুকনাট্য|প্রহসন বা কৌতুকনাট্য]]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#গোড়ায় গলদ ও শেষরক্ষা|''গোড়ায় গলদ'' ও ''শেষরক্ষা'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#বৈকুণ্ঠের খাতা|''বৈকুণ্ঠের খাতা'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#হাস্যকৌতুক ও ব্যঙ্গকৌতুক|''হাস্যকৌতুক'' ও ''ব্যঙ্গকৌতুক'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#চিরকুমার সভা|''চিরকুমার সভা'']]
## [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#রবীন্দ্রনাথের রূপক-সাংকেতিক নাটক|রূপক-সাংকেতিক নাটক]]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#শারদোৎসব ও ঋণশোধ|''শারদোৎসব'' ও ''ঋণশোধ'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#রাজা ও অরূপরতন|''রাজা'' ও ''অরূপরতন'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#অচলায়তন ও গুরু|''অচলায়তন'' ও ''গুরু'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#ডাকঘর|''ডাকঘর'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#ফাল্গুনী|''ফাল্গুনী'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#মুক্তধারা|''মুক্তধারা'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#রক্তকরবী|''রক্তকরবী'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#রথের রশি ও তাসের দেশ|''রথের রশি'' ও ''তাসের দেশ'']]
# [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উপন্যাস|উপন্যাস]]
# [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছোটোগল্প|ছোটোগল্প]]
# [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রবন্ধসাহিত্য|প্রবন্ধসাহিত্য]]
## [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রবন্ধসাহিত্য#প্রবন্ধসাহিত্যের শ্রেণিবিভাগ|প্রবন্ধসাহিত্যের শ্রেণিবিভাগ]]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রবন্ধসাহিত্য#প্রবন্ধসাহিত্যের শ্রেণিবিভাগ|প্রবন্ধসাহিত্যের শ্রেণিবিভাগ]]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রবন্ধসাহিত্য#সমালোচনা, সাহিত্যতত্ত্ব ও সাহিত্য আলোচনা-বিষয়ক প্রবন্ধ|সমালোচনা, সাহিত্যতত্ত্ব ও সাহিত্য আলোচনা-বিষয়ক প্রবন্ধ]]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রবন্ধসাহিত্য#শিক্ষা, সমাজ ও রাজনীতি-বিষয়ক প্রবন্ধ|শিক্ষা, সমাজ ও রাজনীতি-বিষয়ক প্রবন্ধ]]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রবন্ধসাহিত্য#ধর্ম, দর্শন ও অধ্যাত্ম-বিষয়ক প্রবন্ধ|ধর্ম, দর্শন ও অধ্যাত্ম-বিষয়ক প্রবন্ধ]]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রবন্ধসাহিত্য#ভ্রমণসাহিত্য|ভ্রমণসাহিত্য]]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রবন্ধসাহিত্য#পত্রসাহিত্য|পত্রসাহিত্য]]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রবন্ধসাহিত্য#আত্মকথা ও জীবনী|আত্মকথা ও জীবনী]]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রবন্ধসাহিত্য#আবেগধর্মী প্রবন্ধ|আবেগধর্মী প্রবন্ধ]]
## [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রবন্ধসাহিত্য#মূল্যায়ন|মূল্যায়ন]]
# [[/রবীন্দ্রসংগীত|রবীন্দ্রসংগীত]]
{{বিষয়|বাংলা সাহিত্য}}
{{বর্ণানুক্রমিক|আ}}
{{বিষয়|সাহিত্য}}
{{বইয়ের বিষয়শ্রেণী}}
61ar0fuolta9tv3z2b9e7vnol02gbjz
84657
84655
2025-06-17T18:32:52Z
Jonoikobangali
676
/* পর্ব ৩: বাংলা নাটক */
84657
wikitext
text/x-wiki
{{অবস্থা|৫০%}}<p align=center><font size=7 color="DarkBlue"><b>আধুনিক বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস</b></font></p>
==সূচিপত্র==
=== ভূমিকা ===
# [[/আধুনিক যুগের সূত্রপাত|বাংলা সাহিত্যে আধুনিক যুগের সূত্রপাত]]
## [[/আধুনিক যুগের সূত্রপাত#আধুনিকতার লক্ষণ|আধুনিকতার লক্ষণ]]
### [[/আধুনিক যুগের সূত্রপাত#মানবতাবোধ|মানবতাবোধ]]
### [[/আধুনিক যুগের সূত্রপাত#জাতীয়তাবোধ|জাতীয়তাবোধ]]
### [[/আধুনিক যুগের সূত্রপাত#বৈজ্ঞানিক চেতনা ও যুক্তিবাদ|বৈজ্ঞানিক চেতনা ও যুক্তিবাদ]]
## [[/আধুনিক যুগের সূত্রপাত#আধুনিক সাহিত্যের বিকাশ|আধুনিক সাহিত্যের বিকাশ]]
### [[/আধুনিক যুগের সূত্রপাত#গদ্যসাহিত্য|গদ্যসাহিত্য]]
### [[/আধুনিক যুগের সূত্রপাত#কথাসাহিত্য|কথাসাহিত্য]]
### [[/আধুনিক যুগের সূত্রপাত#কাব্যসাহিত্য|কাব্যসাহিত্য]]
### [[/আধুনিক যুগের সূত্রপাত#নাট্যসাহিত্য|নাট্যসাহিত্য]]
## [[/আধুনিক যুগের সূত্রপাত#মূল্যায়ন|মূল্যায়ন]]
=== পর্ব ১: বাংলা গদ্যসাহিত্য ===
# [[/গদ্যসাহিত্যের সূত্রপাত|বাংলা গদ্যসাহিত্যের সূত্রপাত (উনিশ শতকের পূর্ববর্তী বাংলা গদ্যসাহিত্য)]]
## [[/গদ্যসাহিত্যের সূত্রপাত#কোচবিহারের রাজার চিঠি ও অন্যান্য দলিল|কোচবিহারের রাজার চিঠি ও অন্যান্য দলিল]]
## [[/গদ্যসাহিত্যের সূত্রপাত#বৈষ্ণব নিবন্ধে গদ্য|বৈষ্ণব নিবন্ধে গদ্য]]
## [[/গদ্যসাহিত্যের সূত্রপাত#দোমিঙ্গো দে সোসা|দোমিঙ্গো দে সোসা]]
## [[/গদ্যসাহিত্যের সূত্রপাত#দোম আন্তোনিও দে রোজারিও: ব্রাহ্মণ-রোমান-ক্যাথলিক-সংবাদ|দোম আন্তোনিও দে রোজারিও: ''ব্রাহ্মণ-রোমান-ক্যাথলিক-সংবাদ'']]
## [[/গদ্যসাহিত্যের সূত্রপাত#মানোএল দ্য আস্মুম্পসাঁউ: কৃপার শাস্ত্রের অর্থভেদ|মানোএল দ্য আস্মুম্পসাঁউ: ''কৃপার শাস্ত্রের অর্থভেদ'']]
## [[/গদ্যসাহিত্যের সূত্রপাত#অন্যান্য নিদর্শন|অন্যান্য নিদর্শন]]
## [[/গদ্যসাহিত্যের সূত্রপাত#দেশীয় লেখকদের কৃতিত্ব|দেশীয় লেখকদের কৃতিত্ব]]
# [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ|শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ]]
## [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ#শ্রীরামপুর ব্যাপটিস্ট মিশন|শ্রীরামপুর ব্যাপটিস্ট মিশন]]
### [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ#শ্রীরামপুর ব্যাপটিস্ট মিশন প্রতিষ্ঠা|শ্রীরামপুর ব্যাপটিস্ট মিশন প্রতিষ্ঠা]]
### [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ#বাইবেল অনুবাদ|বাইবেল অনুবাদ]]
### [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ#ছাপাখানা প্রতিষ্ঠা ও সাময়িকপত্র|ছাপাখানা প্রতিষ্ঠা ও সাময়িকপত্র]]
### [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ#মিশনারিদের রচনার বৈশিষ্ট্য|মিশনারিদের রচনার বৈশিষ্ট্য]]
## [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ#ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ|ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ]]
### [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ#ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের প্রতিষ্ঠা|ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের প্রতিষ্ঠা]]
### [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ#পণ্ডিত-মুন্সিদের রচনা|পণ্ডিত-মুন্সিদের রচনা]]
#### [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ#উইলিয়াম কেরি|উইলিয়াম কেরি]]
#### [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ#রামরাম বসু|রামরাম বসু]]
#### [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ#মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার|মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার]]
#### [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ#অন্যান্য লেখকবর্গ|অন্যান্য লেখকবর্গ]]
### [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ#পণ্ডিত-মুন্সিদের গদ্যের রচনার বৈশিষ্ট্য|পণ্ডিত-মুন্সিদের গদ্যের রচনার বৈশিষ্ট্য]]
## [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ#মিশনারি ও কলেজের পণ্ডিত-মুন্সিদের গদ্যচর্চার তুলনা|মিশনারি ও কলেজের পণ্ডিত-মুন্সিদের গদ্যচর্চার তুলনা]]
# [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র|উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র]]
## [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#সংবাদপত্রের সূচনা|সংবাদপত্রের সূচনা]]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#দিগ্দর্শন|দিগ্দর্শন]]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#সমাচার-দর্পণ|সমাচার-দর্পণ]]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#গঙ্গাকিশোর ভট্টাচার্যের বেঙ্গল গেজেট|গঙ্গাকিশোর ভট্টাচার্যের ''বেঙ্গল গেজেট'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#সম্বাদ কৌমুদী|''সম্বাদ কৌমুদী'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#সমাচার-চন্দ্রিকা|''সমাচার-চন্দ্রিকা'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#সংবাদ প্রভাকর|''সংবাদ প্রভাকর'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা|''তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#উনিশ শতকের প্রথমার্ধের অন্যান্য পত্রপত্রিকা|উনিশ শতকের প্রথমার্ধের অন্যান্য পত্রপত্রিকা]]
## [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#উনিশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধের পত্রপত্রিকা|উনিশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধের পত্রপত্রিকা]]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#বিবিধার্থ সংগ্রহ|''বিবিধার্থ সংগ্রহ'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#মাসিক পত্রিকা|''মাসিক পত্রিকা'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#এডুকেশন গেজেট|''এডুকেশন গেজেট'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#সোমপ্রকাশ|''সোমপ্রকাশ'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#রহস্য-সন্দর্ভ|''রহস্য-সন্দর্ভ'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#অবোধবন্ধু|''অবোধবন্ধু'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#বঙ্গদর্শন|''বঙ্গদর্শন'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#প্রচার|''প্রচার'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#নবজীবন|''নবজীবন'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#ভারতী|''ভারতী'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#বালক|''বালক'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#সাধনা|''সাধনা'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#বঙ্গবাসী|''বঙ্গবাসী'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#হিতবাদী|''হিতবাদী'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#জন্মভূমি|''জন্মভূমি'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#বামাবোধিনী|''বামাবোধিনী'']]
## [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#পত্রিকাকেন্দ্রিক লেখকগোষ্ঠী|পত্রিকাকেন্দ্রিক লেখকগোষ্ঠী]]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#তত্ত্ববোধিনী গোষ্ঠী|তত্ত্ববোধিনী গোষ্ঠী]]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#বঙ্গদর্শন গোষ্ঠী|বঙ্গদর্শন গোষ্ঠী]]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#ভারতী ও সাধনা গোষ্ঠী|ভারতী ও সাধনা গোষ্ঠী]]
## [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#অবদান|অবদান]]
# [[/রাজা রামমোহন রায়|রাজা রামমোহন রায়]]
## [[/রাজা রামমোহন রায়#রামমোহন রায়ের রচনাবলি|রামমোহন রায়ের রচনাবলি]]
## [[/রাজা রামমোহন রায়#রামমোহন রায়ের গদ্যরীতি|রামমোহন রায়ের গদ্যরীতি]]
## [[/রাজা রামমোহন রায়#গদ্যশিল্পে রামমোহন রায়ের প্রভাব|গদ্যশিল্পে রামমোহন রায়ের প্রভাব]]
# [[/অক্ষয়কুমার দত্ত|অক্ষয়কুমার দত্ত]]
# [[/ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর|ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর]]
## [[/ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর#অনুবাদ সাহিত্য|অনুবাদ সাহিত্য]]
## [[/ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর#মৌলিক রচনা|মৌলিক রচনা]]
## [[/ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর#বিদ্যাসাগরের গদ্যরীতির বৈশিষ্ট্য|বিদ্যাসাগরের গদ্যরীতির বৈশিষ্ট্য]]
## [[/ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর#‘বাংলা গদ্যের জনক’|‘বাংলা গদ্যের জনক’]]
# [[/দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর|দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর]]
# [[/ভূদেব মুখোপাধ্যায়|ভূদেব মুখোপাধ্যায়]]
# [[/রাজনারায়ণ বসু|রাজনারায়ণ বসু]]
# [[/বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রবন্ধসাহিত্য|বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রবন্ধসাহিত্য]]
## [[/বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রবন্ধসাহিত্য#বঙ্কিমচন্দ্রের প্রবন্ধসাহিত্যে বৈচিত্র্য|বৈচিত্র্য]]
## [[/বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রবন্ধসাহিত্য#জ্ঞানচর্চামূলক প্রবন্ধ|জ্ঞানচর্চামূলক প্রবন্ধ]]
## [[/বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রবন্ধসাহিত্য#বিচারমূলক প্রবন্ধ|বিচারমূলক প্রবন্ধ]]
## [[/বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রবন্ধসাহিত্য#রসব্যঞ্জনামূলক প্রবন্ধ|রসব্যঞ্জনামূলক প্রবন্ধ]]
## [[/বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রবন্ধসাহিত্য#প্রবন্ধসাহিত্যে বঙ্কিমচন্দ্রের অবদান|অবদান]]
# [[/বঙ্কিম-সমকালীন প্রাবন্ধিক গোষ্ঠী|বঙ্কিম-সমকালীন প্রাবন্ধিক গোষ্ঠী]]
# [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক বাংলা প্রবন্ধসাহিত্য|রবীন্দ্র-সমসাময়িক প্রবন্ধসাহিত্য]]
## [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক বাংলা প্রবন্ধসাহিত্য#বলেন্দ্রনাথ ঠাকুর|বলেন্দ্রনাথ ঠাকুর]]
## [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক বাংলা প্রবন্ধসাহিত্য#অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর|অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর]]
## [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক বাংলা প্রবন্ধসাহিত্য#রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদী|রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদী]]
## [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক বাংলা প্রবন্ধসাহিত্য#প্রমথ চৌধুরী|প্রমথ চৌধুরী]]
## [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক বাংলা প্রবন্ধসাহিত্য#পাঁচকড়ি বন্দ্যোপাধ্যায়|পাঁচকড়ি বন্দ্যোপাধ্যায়]]
## [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক বাংলা প্রবন্ধসাহিত্য#মোহিতলাল মজুমদার|মোহিতলাল মজুমদার]]
## [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক বাংলা প্রবন্ধসাহিত্য#রবীন্দ্র-পরবর্তীকালের বাংলা প্রবন্ধসাহিত্য|রবীন্দ্র-পরবর্তীকালের বাংলা প্রবন্ধসাহিত্য]]
===পরিশিষ্ট: বাংলা গদ্যসাহিত্য===
# [[/রামমোহন, বিদ্যাসাগর ও অক্ষয়কুমারের অবদান|রামমোহন, বিদ্যাসাগর ও অক্ষয়কুমারের অবদান]]
# [[/বাংলা গদ্যে আলালী ও বিদ্যাসাগরী রীতির বিবর্তন|বাংলা গদ্যে আলালী ও বিদ্যাসাগরী রীতির বিবর্তন]]
# [[/বাংলা গদ্যে চলিত রীতির বিবর্তন|বাংলা গদ্যে চলিত রীতি বিবর্তন]]
# [[/ভূদেব মুখোপাধ্যায় ও বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়|ভূদেব মুখোপাধ্যায় ও বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়]]
=== পর্ব ২: বাংলা উপন্যাস ও ছোটোগল্প ===
# [[/উপন্যাসের সূত্রপাত|বাংলা সাহিত্যে উপন্যাসের সূত্রপাত]]
## [[/উপন্যাসের সূত্রপাত#উপন্যাসের সূত্রপাত|উপন্যাসের সূত্রপাত]]
## [[/উপন্যাসের সূত্রপাত#উপন্যাস রচনার প্রথম প্রচেষ্টা|উপন্যাস রচনার প্রথম প্রচেষ্টা]]
## [[/উপন্যাসের সূত্রপাত#হানা ক্যাথারিন মুলেন্সের ফুলমণি ও করুণার বৃত্তান্ত|হানা ক্যাথারিন মুলেন্সের ''ফুলমণি ও করুণার বৃত্তান্ত'']]
## [[/উপন্যাসের সূত্রপাত#প্যারীচাঁদ মিত্রের আলালের ঘরের দুলাল|প্যারীচাঁদ মিত্রের ''আলালের ঘরের দুলাল'']]
## [[/উপন্যাসের সূত্রপাত#কালীপ্রসন্ন সিংহের হুতোম প্যাঁচার নক্সা|কালীপ্রসন্ন সিংহের ''হুতোম প্যাঁচার নক্সা'']]
## [[/উপন্যাসের সূত্রপাত#রোম্যান্স রচনার সূত্রপাত|রোম্যান্স রচনার সূত্রপাত: ভূদেব মুখোপাধ্যায়, কৃষ্ণকমল ভট্টাচার্য ও গোপীমোহন ঘোষ]]
## [[/উপন্যাসের সূত্রপাত#সূচনা পর্বের উপন্যাসের সাহিত্যমূল্য|সূচনা পর্বের উপন্যাসের সাহিত্যমূল্য]]
# [[/বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের উপন্যাস|বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের উপন্যাস]]
# [[/বঙ্কিম-সমকালীন ঔপন্যাসিক গোষ্ঠী|বঙ্কিম-সমকালীন ঔপন্যাসিক গোষ্ঠী]]
## [[/বঙ্কিম-সমকালীন ঔপন্যাসিক গোষ্ঠী#রমেশচন্দ্র দত্ত|রমেশচন্দ্র দত্ত]]
## [[/বঙ্কিম-সমকালীন ঔপন্যাসিক গোষ্ঠী#সঞ্জীবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়|সঞ্জীবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়]]
## [[/বঙ্কিম-সমকালীন ঔপন্যাসিক গোষ্ঠী#তারকনাথ গঙ্গোপাধ্যায়|তারকনাথ গঙ্গোপাধ্যায়]]
## [[/বঙ্কিম-সমকালীন ঔপন্যাসিক গোষ্ঠী#প্রতাপচন্দ্র ঘোষ|প্রতাপচন্দ্র ঘোষ]]
## [[/বঙ্কিম-সমকালীন ঔপন্যাসিক গোষ্ঠী#স্বর্ণকুমারী দেবী|স্বর্ণকুমারী দেবী]]
## [[/বঙ্কিম-সমকালীন ঔপন্যাসিক গোষ্ঠী#বঙ্কিমযুগের অন্যান্য ঔপন্যাসিক|বঙ্কিমযুগের অন্যান্য ঔপন্যাসিক]]
# [[/বিশ শতকের বাংলা উপন্যাস|বিশ শতকের বাংলা উপন্যাস]]
# [[/প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়ের উপন্যাস|প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়ের উপন্যাস]]
# [[/শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের উপন্যাস|শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের উপন্যাস]]
# [[/শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ছোটোগল্প|শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ছোটোগল্প]]
# [[/বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়|বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়]]
# [[/তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়|তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়]]
# [[/মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়|মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়]]
# [[/বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায়|বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায়]]
# [[/দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী যুগের ছোটোগল্প ও উপন্যাস|দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী যুগের ছোটোগল্প ও উপন্যাস]]
## [[/দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী যুগের ছোটোগল্প ও উপন্যাস#হৃদয়বৃত্তিমূলক কথাসাহিত্য|হৃদয়বৃত্তিমূলক কথাসাহিত্য]]
## [[/দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী যুগের ছোটোগল্প ও উপন্যাস#চিন্তামূলক মননশীল কথাসাহিত্য|চিন্তামূলক মননশীল কথাসাহিত্য]]
## [[/দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী যুগের ছোটোগল্প ও উপন্যাস#বিকৃত-চিন্তামূলক বিদ্রোহাত্মক কথাসাহিত্য|বিকৃত-চিন্তামূলক বিদ্রোহাত্মক কথাসাহিত্য]]
## [[/দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী যুগের ছোটোগল্প ও উপন্যাস#বাস্তববুদ্ধিমূলক মানবিক কথাসাহিত্য|বাস্তববুদ্ধিমূলক মানবিক কথাসাহিত্য]]
## [[/দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী যুগের ছোটোগল্প ও উপন্যাস#কৌতুকরসাত্মক কথাসাহিত্য|কৌতুকরসাত্মক কথাসাহিত্য]]
=== পর্ব ৩: বাংলা নাটক ===
# [[/আধুনিক বাংলা নাটকের উদ্ভব|আধুনিক বাংলা নাটকের উদ্ভব]]
## [[/আধুনিক বাংলা নাটকের উদ্ভব#যাত্রার আদিরূপ|যাত্রার আদিরূপ]]
## [[/আধুনিক বাংলা নাটকের উদ্ভব#মধ্যযুগে নাট্যরস পরিবেশনের প্রয়াস|মধ্যযুগে নাট্যরস পরিবেশনের প্রয়াস]]
## [[/আধুনিক বাংলা নাটকের উদ্ভব#যাত্রা|যাত্রা]]
## [[/আধুনিক বাংলা নাটকের উদ্ভব#নতুন যাত্রাপদ্ধতি ও গীতাভিনয়|নতুন যাত্রাপদ্ধতি ও গীতাভিনয়]]
## [[/আধুনিক বাংলা নাটকের উদ্ভব#যাত্রাপালা এবং মির্যাকল প্লে ও মর্যালিটি প্লে|যাত্রাপালা এবং মির্যাকল প্লে ও মর্যালিটি প্লে]]
## [[/আধুনিক বাংলা নাটকের উদ্ভব#ইংরেজি নাট্যশালার আদর্শ ও বাংলা নাটক|ইংরেজি নাট্যশালার আদর্শ ও বাংলা নাটক]]
# [[/সাধারণ নাট্যশালা প্রতিষ্ঠার পূর্ববর্তী নাট্যশালা|সাধারণ নাট্যশালা প্রতিষ্ঠার পূর্ববর্তী নাট্যশালা]]
## [[/সাধারণ নাট্যশালা প্রতিষ্ঠার পূর্ববর্তী নাট্যশালা#প্লে হাউস ও অন্যান্য ইংরেজি নাট্যশালা|প্লে হাউস ও অন্যান্য ইংরেজি নাট্যশালা]]
## [[/সাধারণ নাট্যশালা প্রতিষ্ঠার পূর্ববর্তী নাট্যশালা#গেরাসিম লেবেদেভ ও বেঙ্গলি থিয়েটার|গেরাসিম লেবেদেভ ও বেঙ্গলি থিয়েটার]]
## [[/সাধারণ নাট্যশালা প্রতিষ্ঠার পূর্ববর্তী নাট্যশালা#হিন্দু থিয়েটার ও নবীন বসুর বাড়ির নাট্যশালা|হিন্দু থিয়েটার ও নবীন বসুর বাড়ির নাট্যশালা]]
## [[/সাধারণ নাট্যশালা প্রতিষ্ঠার পূর্ববর্তী নাট্যশালা#ওরিয়েন্টাল থিয়েটার|ওরিয়েন্টাল থিয়েটার]]
## [[/সাধারণ নাট্যশালা প্রতিষ্ঠার পূর্ববর্তী নাট্যশালা#সংস্কৃত নাটকের বঙ্গানুবাদ ও প্রথম মৌলিক বাংলা নাটকের অভিনয়|সংস্কৃত নাটকের বঙ্গানুবাদ ও প্রথম মৌলিক বাংলা নাটকের অভিনয়]]
## [[/সাধারণ নাট্যশালা প্রতিষ্ঠার পূর্ববর্তী নাট্যশালা#বেলগাছিয়া থিয়েটার ও মাইকেল মধুসূদন দত্ত|বেলগাছিয়া থিয়েটার ও মাইকেল মধুসূদন দত্ত]]
## [[/সাধারণ নাট্যশালা প্রতিষ্ঠার পূর্ববর্তী নাট্যশালা#ন্যাশনাল থিয়েটার: বাংলার প্রথম সাধারণ নাট্যশালা|ন্যাশনাল থিয়েটার: বাংলার প্রথম সাধারণ নাট্যশালা]]
# [[/আদি পর্বের অনুবাদ ও মৌলিক নাটক|আদি পর্বের অনুবাদ ও মৌলিক নাটক]]
## [[/আদি পর্বের অনুবাদ ও মৌলিক নাটক#ইংরেজি ও সংস্কৃত নাটকের অনুবাদ|ইংরেজি ও সংস্কৃত নাটকের অনুবাদ]]
### [[/আদি পর্বের অনুবাদ ও মৌলিক নাটক#ইংরেজি নাটকের অনুবাদ|ইংরেজি নাটকের অনুবাদ]]
### [[/আদি পর্বের অনুবাদ ও মৌলিক নাটক#সংস্কৃত নাটকের অনুবাদ|সংস্কৃত নাটকের অনুবাদ]]
## [[/আদি পর্বের অনুবাদ ও মৌলিক নাটক#মৌলিক নাটক|মৌলিক নাটক]]
### [[/আদি পর্বের অনুবাদ ও মৌলিক নাটক#যোগেন্দ্রচন্দ্র গুপ্ত|যোগেন্দ্রচন্দ্র গুপ্ত]]
### [[/আদি পর্বের অনুবাদ ও মৌলিক নাটক#তারাচরণ শিকদার|তারাচরণ শিকদার]]
### [[/আদি পর্বের অনুবাদ ও মৌলিক নাটক#হরচন্দ্র ঘোষ|হরচন্দ্র ঘোষ]]
### [[/আদি পর্বের অনুবাদ ও মৌলিক নাটক#কালীপ্রসন্ন সিংহ|কালীপ্রসন্ন সিংহ]]
# [[/রামনারায়ণ তর্করত্ন|রামনারায়ণ তর্করত্ন]]
## [[/রামনারায়ণ তর্করত্ন#কুলীনকুলসর্বস্ব|''কুলীনকুলসর্বস্ব'']]
## [[/রামনারায়ণ তর্করত্ন#অন্যান্য নাটক|অন্যান্য নাটক]]
## [[/রামনারায়ণ তর্করত্ন#মূল্যায়ন|মূল্যায়ন]]
# [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের নাট্যসাহিত্য|মাইকেল মধুসূদন দত্ত]]
## [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের নাট্যসাহিত্য#প্রাক্-মধুসূদন যুগের বাংলা নাটক ও মধুসূদন|প্রাক্-মধুসূদন যুগের বাংলা নাটক ও মধুসূদন]]
## [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের নাট্যসাহিত্য#পৌরাণিক নাটক|পৌরাণিক নাটক]]
### [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের নাট্যসাহিত্য#''শর্মিষ্ঠা''|''শর্মিষ্ঠা'']]
### [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের নাট্যসাহিত্য#''পদ্মাবতী''|''পদ্মাবতী'']]
## [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের নাট্যসাহিত্য#ঐতিহাসিক নাটক: ট্র্যাজেডি|ঐতিহাসিক নাটক: ট্র্যাজেডি]]
### [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের নাট্যসাহিত্য#''কৃষ্ণকুমারী''|''কৃষ্ণকুমারী'']]
## [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের নাট্যসাহিত্য#প্রহসন|প্রহসন: ''একেই কি বলে সভ্যতা'' ও ''বুড়ো শালিকের ঘাড়ে রোঁ'']]
## [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের নাট্যসাহিত্য#প্রহসন|অন্যান্য নাটক: ''মায়াকানন'' ও ''বিষ না ধনুর্গুণ'']]
## [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের নাট্যসাহিত্য#বাংলা নাটকের ইতিহাসে মাইকেল মধুসূদন দত্তের স্থান|বাংলা নাটকের ইতিহাসে মাইকেল মধুসূদন দত্তের স্থান]]
# [[/দীনবন্ধু মিত্র|দীনবন্ধু মিত্র]]
## [[/দীনবন্ধু মিত্র#সামাজিক নাটক|সামাজিক নাটক]]
### [[/দীনবন্ধু মিত্র#নীলদর্পণ|''নীলদর্পণ'']]
#### [[/দীনবন্ধু মিত্র#নীল বিদ্রোহ ও নীলদর্পণ নাটক|নীল বিদ্রোহ ও ''নীলদর্পণ'' নাটক]]
#### [[/দীনবন্ধু মিত্র#নীলদর্পণ নাটকের সংক্ষিপ্ত কাহিনি|''নীলদর্পণ'' নাটকের সংক্ষিপ্ত কাহিনি]]
#### [[/দীনবন্ধু মিত্র#সমালোচনা|সমালোচনা]]
## [[/দীনবন্ধু মিত্র#অন্যান্য নাটক|অন্যান্য নাটক]]
### [[/দীনবন্ধু মিত্র#প্রহসন|প্রহসন]]
#### [[/দীনবন্ধু মিত্র#সধবার একাদশী ও নিমচাঁদ চরিত্র|''সধবার একাদশী'' ও নিমচাঁদ চরিত্র]]
## [[/দীনবন্ধু মিত্র#বাংলা নাট্যসাহিত্যে দীনবন্ধু মিত্রের অবদান|বাংলা নাট্যসাহিত্যে দীনবন্ধু মিত্রের অবদান]]
# [[/মনোমোহন বসু|মনোমোহন বসু]]
# [[/জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর|জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর]]
## [[/জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর#জ্যোতিরিন্দ্রনাথের ঐতিহাসিক নাটক|ঐতিহাসিক নাটক]]
## [[/জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর#জ্যোতিরিন্দ্রনাথের প্রহসন|প্রহসন]]
## [[/জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর#জ্যোতিরিন্দ্রনাথের অনুবাদ নাটক|অনুবাদ নাটক]]
# [[/উপেন্দ্রনাথ দাস|উপেন্দ্রনাথ দাস]]
# [[/রাজকৃষ্ণ রায়|রাজকৃষ্ণ রায়]]
# [[/গিরিশচন্দ্র ঘোষ|গিরিশচন্দ্র ঘোষ]]
# [[/অমৃতলাল বসু|অমৃতলাল বসু]]
# [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়|দ্বিজেন্দ্রলাল রায়]]
## [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#প্রহসন|প্রহসন]]
### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#কল্কি অবতার|''কল্কি অবতার'']]
### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#বিরহ|''বিরহ'']]
### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#ত্র্যহস্পর্শ|''ত্র্যহস্পর্শ'']]
### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#প্রায়শ্চিত্ত|''প্রায়শ্চিত্ত'']]
### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#পুনর্জন্ম|''পুনর্জন্ম'']]
### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#আনন্দবিদায়|''আনন্দবিদায়'']]
## [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#পৌরাণিক নাটক|পৌরাণিক নাটক]]
### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#পাষাণী|''পাষাণী'']]
### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#সীতা|''সীতা'']]
### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#ভীষ্ম|''ভীষ্ম'']]
## [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#সামাজিক নাটক|সামাজিক নাটক]]
### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#পরপারে|''পরপারে'']]
### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#বঙ্গনারী|''বঙ্গনারী'']]
## [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#অপেরা|অপেরা]]
### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#সোরাব-রুস্তম|''সোরাব-রুস্তম'']]
## [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#ঐতিহাসিক নাটক|ঐতিহাসিক নাটক]]
### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#রাজপুত ইতিহাস-নির্ভর ঐতিহাসিক নাটক|রাজপুত ইতিহাস-নির্ভর ঐতিহাসিক নাটক]]
#### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#তারাবাঈ|''তারাবাঈ'']]
#### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#রাণা প্রতাপ সিংহ|''রাণা প্রতাপ সিংহ'']]
#### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#দুর্গাদাস|''দুর্গাদাস'']]
#### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#মেবার পতন|''মেবার পতন'']]
### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#অন্যান্য ঐতিহাসিক নাটক|অন্যান্য ঐতিহাসিক নাটক]]
#### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#নূরজাহান|''নূরজাহান'']]
#### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#সাজাহান|''সাজাহান'']]
#### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#চন্দ্রগুপ্ত|''চন্দ্রগুপ্ত'']]
#### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#সিংহল বিজয়|''সিংহল বিজয়'']]
## [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#দ্বিজেন্দ্রলালের নাটকে সংলাপের ভাষা|দ্বিজেন্দ্রলালের নাটকে সংলাপের ভাষা]]
## [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#মূল্যায়ন|মূল্যায়ন]]
# [[/ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ|ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ]]
## [[/ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ#অপেরা বা গীতিমুখর নাটক|অপেরা বা গীতিমুখর নাটক]]
## [[/ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ#পৌরাণিক নাটক|পৌরাণিক নাটক]]
## [[/ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ#কাল্পনিক নাটক|কাল্পনিক নাটক]]
## [[/ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ#অপেরা বা গীতিমুখর নাটক|অপেরা বা গীতিমুখর নাটক]]
## [[/ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ#ঐতিহাসিক নাটক|ঐতিহাসিক নাটক]]
## [[/ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ#মূল্যায়ন|মূল্যায়ন]]
# [[/বিশ শতকের বাংলা নাটক|বিশ শতকের বাংলা নাটক]]
## [[/বিশ শতকের বাংলা নাটক#অপরেশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়|অপরেশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়]]
## [[/বিশ শতকের বাংলা নাটক#গতানুগতিক ধারার নাট্যকারগণ|গতানুগতিক ধারার নাট্যকারগণ]]
## [[/বিশ শতকের বাংলা নাটক#যোগেশচন্দ্র চৌধুরী|যোগেশচন্দ্র চৌধুরী]]
## [[/বিশ শতকের বাংলা নাটক#মন্মথ রায়|মন্মথ রায়]]
## [[/বিশ শতকের বাংলা নাটক#শচীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত|শচীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত]]
## [[/বিশ শতকের বাংলা নাটক#বিধায়ক ভট্টাচার্য|বিধায়ক ভট্টাচার্য]]
## [[/বিশ শতকের বাংলা নাটক#প্রমথনাথ বিশী|প্রমথনাথ বিশী]]
## [[/বিশ শতকের বাংলা নাটক#জীবনী নাটক|জীবনী নাটক]]
## [[/বিশ শতকের বাংলা নাটক#নবনাট্য আন্দোলন|নবনাট্য আন্দোলন]]
## [[/বিশ শতকের বাংলা নাটক#বিদেশি নাটকের বঙ্গীকরণ|বিদেশি নাটকের বঙ্গীকরণ]]
# [[/পৌরাণিক নাটক|বাংলা পৌরাণিক নাটকের বিকাশ]]
## [[/পৌরাণিক নাটক#প্রথম পর্বের বাংলা পৌরাণিক নাটক|প্রথম পর্ব: হরচন্দ্র ঘোষ, কালীপ্রসন্ন সিংহ, মাইকেল মধুসূদন দত্ত ও রামনারায়ণ তর্করত্ন]]
## [[/পৌরাণিক নাটক#দ্বিতীয় পর্বের বাংলা পৌরাণিক নাটক|দ্বিতীয় পর্ব: মনোমোহন বসু, রাজকৃষ্ণ রায়, অতুলকৃষ্ণ মিত্র ও গিরিশচন্দ্র ঘোষ]]
## [[/পৌরাণিক নাটক#তৃতীয় পর্বের বাংলা পৌরাণিক নাটক|তৃতীয় পর্ব: দ্বিজেন্দ্রলাল রায়, ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ, অপরেশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়, ভূপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, যোগেশচন্দ্র চৌধুরী, মন্মথ রায় ও মহেন্দ্র গুপ্ত]]
## [[/পৌরাণিক নাটক#বাংলা পৌরাণিক নাটকের পরিণতি|পরিণতি]]
# [[/ঐতিহাসিক নাটক|বাংলা ঐতিহাসিক নাটকের বিকাশ]]
## [[/ঐতিহাসিক নাটক#প্রথম পর্ব: মাইকেল মধুসূদন দত্ত|প্রথম পর্ব: মাইকেল মধুসূদন দত্ত]]
## [[/ঐতিহাসিক নাটক#দ্বিতীয় পর্ব: জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর, ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ, দ্বিজেন্দ্রলাল রায়, গিরিশচন্দ্র ঘোষ ও অন্যান্য নাট্যকার|দ্বিতীয় পর্ব: জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর, ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ, দ্বিজেন্দ্রলাল রায়, গিরিশচন্দ্র ঘোষ ও অন্যান্য নাট্যকার]]
## [[/ঐতিহাসিক নাটক#তৃতীয় পর্ব: যোগেশচন্দ্র চৌধুরী ও অন্যান্য নাট্যকার|তৃতীয় পর্ব: যোগেশচন্দ্র চৌধুরী ও অন্যান্য নাট্যকার]]
# [[/সামাজিক ও পারিবারিক নাটক|বাংলা সামাজিক ও পারিবারিক নাটকের বিকাশ]]
## [[/সামাজিক ও পারিবারিক নাটক#প্রথম পর্বের সামাজিক নাটক|প্রথম পর্বের সামাজিক নাটক: রামনারায়ণ তর্করত্ন, উমেশচন্দ্র মিত্র, দীনবন্ধু মিত্র ও অন্যান্য]]
## [[/সামাজিক ও পারিবারিক নাটক#দ্বিতীয় পর্বের সামাজিক ও পারিবারিক নাটক|দ্বিতীয় পর্বের সামাজিক ও পারিবারিক নাটক: উপেন্দ্রনাথ দাস, গিরিশচন্দ্র ঘোষ, দ্বিজেন্দ্রলাল রায় ও অন্যান্য]]
## [[/সামাজিক ও পারিবারিক নাটক#তৃতীয় পর্বের পারিবারিক নাটক|তৃতীয় পর্বের পারিবারিক নাটক: শচীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত, জলধর চট্টোপাধ্যায়, মহেন্দ্র গুপ্ত ও বিধায়ক ভট্টাচার্য]]
## [[/সামাজিক ও পারিবারিক নাটক#চতুর্থ পর্বের আধুনিক সমাজ-সচেতন নাটক|চতুর্থ পর্বের আধুনিক সমাজ-সচেতন নাটক: বিজন ভট্টাচার্য, তুলসী লাহিড়ী, সলিল সেন ও অন্যান্য]]
# [[/প্রহসন|বাংলা প্রহসনের বিকাশ]]
## [[/প্রহসন#প্রথম পর্বের প্রহসন: রামনারায়ণ তর্করত্ন, কালীপ্রসন্ন সিংহ, মাইকেল মধুসূদন দত্ত, দীনবন্ধু মিত্র ও জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর|প্রথম পর্বের প্রহসন: রামনারায়ণ তর্করত্ন, কালীপ্রসন্ন সিংহ, মাইকেল মধুসূদন দত্ত, দীনবন্ধু মিত্র ও জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর]]
## [[/প্রহসন#দ্বিতীয় পর্বের প্রহসন: গিরিশচন্দ্র ঘোষ, অমৃতলাল বসু, দ্বিজেন্দ্রলাল রায়, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর|দ্বিতীয় পর্বের প্রহসন: গিরিশচন্দ্র ঘোষ, অমৃতলাল বসু, দ্বিজেন্দ্রলাল রায়, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর]]
## [[/প্রহসন#তৃতীয় পর্বের প্রহসন: রবীন্দ্রনাথ মৈত্র, প্রমথনাথ বিশী, বিধায়ক ভট্টাচার্য প্রমুখ|তৃতীয় পর্বের প্রহসন: রবীন্দ্রনাথ মৈত্র, প্রমথনাথ বিশী, বিধায়ক ভট্টাচার্য প্রমুখ]]
=== পর্ব ৪: আধুনিক বাংলা কাব্যসাহিত্য ===
# [[/কবিওয়ালা|কবিওয়ালা]]
# [[/ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত|ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত]]
# [[/মদনমোহন তর্কালঙ্কার|মদনমোহন তর্কালঙ্কার]]
# [[/উনিশ শতকের মহাকাব্য ও আখ্যানকাব্য|উনিশ শতকের বাংলা মহাকাব্য ও আখ্যানকাব্য]]
## [[/উনিশ শতকের মহাকাব্য ও আখ্যানকাব্য#আখ্যানকাব্যের বৈশিষ্ট্য|আখ্যানকাব্যের বৈশিষ্ট্য]]
## [[/উনিশ শতকের মহাকাব্য ও আখ্যানকাব্য#মহাকাব্যের বৈশিষ্ট্য|মহাকাব্যের বৈশিষ্ট্য]]
### [[/উনিশ শতকের মহাকাব্য ও আখ্যানকাব্য#মাইকেল মধুসূদন দত্তের মহাকাব্য|মাইকেল মধুসূদন দত্তের মহাকাব্য]]
### [[/উনিশ শতকের মহাকাব্য ও আখ্যানকাব্য#হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের মহাকাব্য ও আখ্যানকাব্য|হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের মহাকাব্য ও আখ্যানকাব্য]]
### [[/উনিশ শতকের মহাকাব্য ও আখ্যানকাব্য#নবীনচন্দ্র সেনের মহাকাব্য ও আখ্যানকাব্য|নবীনচন্দ্র সেনের মহাকাব্য ও আখ্যানকাব্য]]
## [[/উনিশ শতকের মহাকাব্য ও আখ্যানকাব্য#বাংলা মহাকাব্যের পরিণতি|বাংলা মহাকাব্যের পরিণতি]]
## [[/উনিশ শতকের মহাকাব্য ও আখ্যানকাব্য#বাংলা আখ্যানকাব্যের পরিণতি|বাংলা আখ্যানকাব্যের পরিণতি]]
# [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের কাব্যসাহিত্য|মাইকেল মধুসূদন দত্ত]]
## [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের কাব্যসাহিত্য#কাব্যসাহিত্য|কাব্যসাহিত্য]]
### [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের কাব্যসাহিত্য#তিলোত্তমাসম্ভব কাব্য|''তিলোত্তমাসম্ভব কাব্য'']]
### [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের কাব্যসাহিত্য#মেঘনাদবধ কাব্য|''মেঘনাদবধ কাব্য'']]
### [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের কাব্যসাহিত্য#ব্রজাঙ্গনা কাব্য|''ব্রজাঙ্গনা কাব্য'']]
### [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের কাব্যসাহিত্য#বীরাঙ্গনা কাব্য|''বীরাঙ্গনা কাব্য'']]
### [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের কাব্যসাহিত্য#চতুর্দশপদী কবিতাবলী|''চতুর্দশপদী কবিতাবলী'']]
## [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের কাব্যসাহিত্য#মূল্যায়ন|মূল্যায়ন]]
# [[/হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়|হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়]]
# [[/নবীনচন্দ্র সেন|নবীনচন্দ্র সেন]]
# [[/বিহারীলাল চক্রবর্তী|বিহারীলাল চক্রবর্তী]]
## [[/বিহারীলাল চক্রবর্তী#রচনাবলি|রচনাবলি]]
## [[/বিহারীলাল চক্রবর্তী#কবিপ্রতিভার বৈশিষ্ট্য|কবিপ্রতিভার বৈশিষ্ট্য]]
## [[/বিহারীলাল চক্রবর্তী#শৈল্পিক ত্রুটি|শৈল্পিক ত্রুটি]]
## [[/বিহারীলাল চক্রবর্তী#বিশুদ্ধ গীতিকবিতার জনক বিহারীলাল|বিশুদ্ধ গীতিকবিতার জনক বিহারীলাল]]
# [[/আখ্যানকাব্য ও গীতিকাব্যের ধারা ও পরিণাম|বাংলা আখ্যানকাব্য ও গীতিকাব্যের ধারা ও পরিণাম]]
# [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক কবিগণ|রবীন্দ্র-সমসাময়িক কবিগণ]]
## [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক কবিগণ#রবীন্দ্র-পরিমণ্ডলের অন্তর্ভুক্ত কবিগণ|রবীন্দ্র-পরিমণ্ডলের অন্তর্ভুক্ত কবিগণ]]
## [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক কবিগণ#রবীন্দ্র-প্রভাবিক কবিগোষ্ঠী|রবীন্দ্র-প্রভাবিক কবিগোষ্ঠী]]
### [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক কবিগণ#দ্বিজেন্দ্রলাল রায়|দ্বিজেন্দ্রলাল রায়]]
### [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক কবিগণ#সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত|সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত]]
### [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক কবিগণ#করুণানিধন বন্দ্যোপাধ্যায়|করুণানিধন বন্দ্যোপাধ্যায়]]
### [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক কবিগণ#যতীন্দ্রমোহন বাগচি|যতীন্দ্রমোহন বাগচি]]
### [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক কবিগণ#কুমুদরঞ্জন মল্লিক, কালিদাস রায় ও কিরণধন চট্টোপাধ্যায়|কুমুদরঞ্জন মল্লিক, কালিদাস রায় ও কিরণধন চট্টোপাধ্যায়]]
## [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক কবিগণ#রবীন্দ্রবিরোধী কবিগোষ্ঠী|রবীন্দ্রবিরোধী কবিগোষ্ঠী]]
### [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক কবিগণ#মোহিতলাল মজুমদার|মোহিতলাল মজুমদার]]
### [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক কবিগণ#যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত|যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত]]
### [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক কবিগণ#কাজী নজরুল ইসলাম|কাজী নজরুল ইসলাম]]
# [[/উনিশ শতকের মহিলা কবিগণ|উনিশ শতকের মহিলা কবিগণ]]
## [[/উনিশ শতকের মহিলা কবিগণ#মোক্ষদায়িনী মুখোপাধ্যায়|মোক্ষদায়িনী মুখোপাধ্যায়]]
## [[/উনিশ শতকের মহিলা কবিগণ#স্বর্ণকুমারী দেবী|স্বর্ণকুমারী দেবী]]
## [[/উনিশ শতকের মহিলা কবিগণ#গিরীন্দ্রমোহিনী দাসী|গিরীন্দ্রমোহিনী দাসী]]
## [[/উনিশ শতকের মহিলা কবিগণ#মানকুমারী বসু|মানকুমারী বসু]]
## [[/উনিশ শতকের মহিলা কবিগণ#কামিনী রায়|কামিনী রায়]]
## [[/উনিশ শতকের মহিলা কবিগণ#সরোজকুমারী দেবী|সরোজকুমারী দেবী]]
## [[/উনিশ শতকের মহিলা কবিগণ#অন্যান্য মহিলা কবিগণ|অন্যান্য মহিলা কবিগণ]]
# [[/রবীন্দ্র-পরবর্তী বাংলা কবিতা|রবীন্দ্র-পরবর্তী বাংলা কবিতা]]
## [[/রবীন্দ্র-পরবর্তী বাংলা কবিতা#বুদ্ধদেব বসু|বুদ্ধদেব বসু]]
## [[/রবীন্দ্র-পরবর্তী বাংলা কবিতা#জীবনানন্দ দাশ|জীবনানন্দ দাশ]]
## [[/রবীন্দ্র-পরবর্তী বাংলা কবিতা#অজিত দত্ত|অজিত দত্ত]]
## [[/রবীন্দ্র-পরবর্তী বাংলা কবিতা#সুধীন্দ্রনাথ দত্ত|সুধীন্দ্রনাথ দত্ত]]
## [[/রবীন্দ্র-পরবর্তী বাংলা কবিতা#বিষ্ণু দে|বিষ্ণু দে]]
## [[/রবীন্দ্র-পরবর্তী বাংলা কবিতা#প্রেমেন্দ্র মিত্র|প্রেমেন্দ্র মিত্র]]
## [[/রবীন্দ্র-পরবর্তী বাংলা কবিতা#অমিয় চক্রবর্তী|অমিয় চক্রবর্তী]]
## [[/রবীন্দ্র-পরবর্তী বাংলা কবিতা#সমর সেন|সমর সেন]]
## [[/রবীন্দ্র-পরবর্তী বাংলা কবিতা#সুকান্ত ভট্টাচার্য|সুকান্ত ভট্টাচার্য]]
## [[/রবীন্দ্র-পরবর্তী বাংলা কবিতা#অন্যান্য কবিগণ|অন্যান্য কবিগণ]]
=== পর্ব ৫: রবীন্দ্রসাহিত্য ===
# [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতা|কবিতা]]
# [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক|নাটক]]
## [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#রবীন্দ্রনাথের গীতিনাট্য: বাল্মীকিপ্রতিভা, কালমৃগয়া ও মায়ার খেলা|রবীন্দ্রনাথের গীতিনাট্য: ''বাল্মীকিপ্রতিভা'', ''কালমৃগয়া'' ও ''মায়ার খেলা'']]
## [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#রবীন্দ্রনাথের কাব্যনাট্য|কাব্যনাট্য]]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#প্রকৃতির প্রতিশোধ|''প্রকৃতির প্রতিশোধ'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#চিত্রাঙ্গদা|''চিত্রাঙ্গদা'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#বিদায় অভিশাপ|''বিদায় অভিশাপ'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#কাহিনী গ্রন্থের কাব্যনাট্যসমূহ|''কাহিনী'' গ্রন্থের কাব্যনাট্যসমূহ: "গান্ধারীর আবেদন", "সতী", "নরকবাস", "লক্ষ্মীর পরীক্ষা" ও "কর্ণকুন্তীসংবাদ"]]
## [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#রবীন্দ্রনাথের প্রথানুগ নাটক|প্রথানুগ নাটক]]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#রাজা ও রানী ও তপতী|''রাজা ও রানী'' ও ''তপতী'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#বিসর্জন|''বিসর্জন'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#মালিনী|''মালিনী'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#প্রায়শ্চিত্ত ও পরিত্রাণ|''প্রায়শ্চিত্ত'' ও ''পরিত্রাণ'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#রবীন্দ্রনাথের পারিবারিক নাটক: গৃহপ্রবেশ ও শোধবোধ|রবীন্দ্রনাথের পারিবারিক নাটক: ''গৃহপ্রবেশ'' ও ''শোধবোধ'']]
## [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#রবীন্দ্রনাথের প্রহসন বা কৌতুকনাট্য|প্রহসন বা কৌতুকনাট্য]]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#গোড়ায় গলদ ও শেষরক্ষা|''গোড়ায় গলদ'' ও ''শেষরক্ষা'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#বৈকুণ্ঠের খাতা|''বৈকুণ্ঠের খাতা'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#হাস্যকৌতুক ও ব্যঙ্গকৌতুক|''হাস্যকৌতুক'' ও ''ব্যঙ্গকৌতুক'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#চিরকুমার সভা|''চিরকুমার সভা'']]
## [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#রবীন্দ্রনাথের রূপক-সাংকেতিক নাটক|রূপক-সাংকেতিক নাটক]]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#শারদোৎসব ও ঋণশোধ|''শারদোৎসব'' ও ''ঋণশোধ'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#রাজা ও অরূপরতন|''রাজা'' ও ''অরূপরতন'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#অচলায়তন ও গুরু|''অচলায়তন'' ও ''গুরু'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#ডাকঘর|''ডাকঘর'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#ফাল্গুনী|''ফাল্গুনী'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#মুক্তধারা|''মুক্তধারা'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#রক্তকরবী|''রক্তকরবী'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#রথের রশি ও তাসের দেশ|''রথের রশি'' ও ''তাসের দেশ'']]
# [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উপন্যাস|উপন্যাস]]
# [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছোটোগল্প|ছোটোগল্প]]
# [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রবন্ধসাহিত্য|প্রবন্ধসাহিত্য]]
## [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রবন্ধসাহিত্য#প্রবন্ধসাহিত্যের শ্রেণিবিভাগ|প্রবন্ধসাহিত্যের শ্রেণিবিভাগ]]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রবন্ধসাহিত্য#প্রবন্ধসাহিত্যের শ্রেণিবিভাগ|প্রবন্ধসাহিত্যের শ্রেণিবিভাগ]]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রবন্ধসাহিত্য#সমালোচনা, সাহিত্যতত্ত্ব ও সাহিত্য আলোচনা-বিষয়ক প্রবন্ধ|সমালোচনা, সাহিত্যতত্ত্ব ও সাহিত্য আলোচনা-বিষয়ক প্রবন্ধ]]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রবন্ধসাহিত্য#শিক্ষা, সমাজ ও রাজনীতি-বিষয়ক প্রবন্ধ|শিক্ষা, সমাজ ও রাজনীতি-বিষয়ক প্রবন্ধ]]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রবন্ধসাহিত্য#ধর্ম, দর্শন ও অধ্যাত্ম-বিষয়ক প্রবন্ধ|ধর্ম, দর্শন ও অধ্যাত্ম-বিষয়ক প্রবন্ধ]]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রবন্ধসাহিত্য#ভ্রমণসাহিত্য|ভ্রমণসাহিত্য]]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রবন্ধসাহিত্য#পত্রসাহিত্য|পত্রসাহিত্য]]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রবন্ধসাহিত্য#আত্মকথা ও জীবনী|আত্মকথা ও জীবনী]]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রবন্ধসাহিত্য#আবেগধর্মী প্রবন্ধ|আবেগধর্মী প্রবন্ধ]]
## [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রবন্ধসাহিত্য#মূল্যায়ন|মূল্যায়ন]]
# [[/রবীন্দ্রসংগীত|রবীন্দ্রসংগীত]]
{{বিষয়|বাংলা সাহিত্য}}
{{বর্ণানুক্রমিক|আ}}
{{বিষয়|সাহিত্য}}
{{বইয়ের বিষয়শ্রেণী}}
fna3tx8uab07mecut11l9kubx2j499l
84663
84657
2025-06-17T18:54:59Z
Jonoikobangali
676
/* পর্ব ৪: আধুনিক বাংলা কাব্যসাহিত্য */
84663
wikitext
text/x-wiki
{{অবস্থা|৫০%}}<p align=center><font size=7 color="DarkBlue"><b>আধুনিক বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস</b></font></p>
==সূচিপত্র==
=== ভূমিকা ===
# [[/আধুনিক যুগের সূত্রপাত|বাংলা সাহিত্যে আধুনিক যুগের সূত্রপাত]]
## [[/আধুনিক যুগের সূত্রপাত#আধুনিকতার লক্ষণ|আধুনিকতার লক্ষণ]]
### [[/আধুনিক যুগের সূত্রপাত#মানবতাবোধ|মানবতাবোধ]]
### [[/আধুনিক যুগের সূত্রপাত#জাতীয়তাবোধ|জাতীয়তাবোধ]]
### [[/আধুনিক যুগের সূত্রপাত#বৈজ্ঞানিক চেতনা ও যুক্তিবাদ|বৈজ্ঞানিক চেতনা ও যুক্তিবাদ]]
## [[/আধুনিক যুগের সূত্রপাত#আধুনিক সাহিত্যের বিকাশ|আধুনিক সাহিত্যের বিকাশ]]
### [[/আধুনিক যুগের সূত্রপাত#গদ্যসাহিত্য|গদ্যসাহিত্য]]
### [[/আধুনিক যুগের সূত্রপাত#কথাসাহিত্য|কথাসাহিত্য]]
### [[/আধুনিক যুগের সূত্রপাত#কাব্যসাহিত্য|কাব্যসাহিত্য]]
### [[/আধুনিক যুগের সূত্রপাত#নাট্যসাহিত্য|নাট্যসাহিত্য]]
## [[/আধুনিক যুগের সূত্রপাত#মূল্যায়ন|মূল্যায়ন]]
=== পর্ব ১: বাংলা গদ্যসাহিত্য ===
# [[/গদ্যসাহিত্যের সূত্রপাত|বাংলা গদ্যসাহিত্যের সূত্রপাত (উনিশ শতকের পূর্ববর্তী বাংলা গদ্যসাহিত্য)]]
## [[/গদ্যসাহিত্যের সূত্রপাত#কোচবিহারের রাজার চিঠি ও অন্যান্য দলিল|কোচবিহারের রাজার চিঠি ও অন্যান্য দলিল]]
## [[/গদ্যসাহিত্যের সূত্রপাত#বৈষ্ণব নিবন্ধে গদ্য|বৈষ্ণব নিবন্ধে গদ্য]]
## [[/গদ্যসাহিত্যের সূত্রপাত#দোমিঙ্গো দে সোসা|দোমিঙ্গো দে সোসা]]
## [[/গদ্যসাহিত্যের সূত্রপাত#দোম আন্তোনিও দে রোজারিও: ব্রাহ্মণ-রোমান-ক্যাথলিক-সংবাদ|দোম আন্তোনিও দে রোজারিও: ''ব্রাহ্মণ-রোমান-ক্যাথলিক-সংবাদ'']]
## [[/গদ্যসাহিত্যের সূত্রপাত#মানোএল দ্য আস্মুম্পসাঁউ: কৃপার শাস্ত্রের অর্থভেদ|মানোএল দ্য আস্মুম্পসাঁউ: ''কৃপার শাস্ত্রের অর্থভেদ'']]
## [[/গদ্যসাহিত্যের সূত্রপাত#অন্যান্য নিদর্শন|অন্যান্য নিদর্শন]]
## [[/গদ্যসাহিত্যের সূত্রপাত#দেশীয় লেখকদের কৃতিত্ব|দেশীয় লেখকদের কৃতিত্ব]]
# [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ|শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ]]
## [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ#শ্রীরামপুর ব্যাপটিস্ট মিশন|শ্রীরামপুর ব্যাপটিস্ট মিশন]]
### [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ#শ্রীরামপুর ব্যাপটিস্ট মিশন প্রতিষ্ঠা|শ্রীরামপুর ব্যাপটিস্ট মিশন প্রতিষ্ঠা]]
### [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ#বাইবেল অনুবাদ|বাইবেল অনুবাদ]]
### [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ#ছাপাখানা প্রতিষ্ঠা ও সাময়িকপত্র|ছাপাখানা প্রতিষ্ঠা ও সাময়িকপত্র]]
### [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ#মিশনারিদের রচনার বৈশিষ্ট্য|মিশনারিদের রচনার বৈশিষ্ট্য]]
## [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ#ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ|ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ]]
### [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ#ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের প্রতিষ্ঠা|ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের প্রতিষ্ঠা]]
### [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ#পণ্ডিত-মুন্সিদের রচনা|পণ্ডিত-মুন্সিদের রচনা]]
#### [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ#উইলিয়াম কেরি|উইলিয়াম কেরি]]
#### [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ#রামরাম বসু|রামরাম বসু]]
#### [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ#মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার|মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার]]
#### [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ#অন্যান্য লেখকবর্গ|অন্যান্য লেখকবর্গ]]
### [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ#পণ্ডিত-মুন্সিদের গদ্যের রচনার বৈশিষ্ট্য|পণ্ডিত-মুন্সিদের গদ্যের রচনার বৈশিষ্ট্য]]
## [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ#মিশনারি ও কলেজের পণ্ডিত-মুন্সিদের গদ্যচর্চার তুলনা|মিশনারি ও কলেজের পণ্ডিত-মুন্সিদের গদ্যচর্চার তুলনা]]
# [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র|উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র]]
## [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#সংবাদপত্রের সূচনা|সংবাদপত্রের সূচনা]]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#দিগ্দর্শন|দিগ্দর্শন]]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#সমাচার-দর্পণ|সমাচার-দর্পণ]]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#গঙ্গাকিশোর ভট্টাচার্যের বেঙ্গল গেজেট|গঙ্গাকিশোর ভট্টাচার্যের ''বেঙ্গল গেজেট'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#সম্বাদ কৌমুদী|''সম্বাদ কৌমুদী'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#সমাচার-চন্দ্রিকা|''সমাচার-চন্দ্রিকা'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#সংবাদ প্রভাকর|''সংবাদ প্রভাকর'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা|''তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#উনিশ শতকের প্রথমার্ধের অন্যান্য পত্রপত্রিকা|উনিশ শতকের প্রথমার্ধের অন্যান্য পত্রপত্রিকা]]
## [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#উনিশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধের পত্রপত্রিকা|উনিশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধের পত্রপত্রিকা]]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#বিবিধার্থ সংগ্রহ|''বিবিধার্থ সংগ্রহ'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#মাসিক পত্রিকা|''মাসিক পত্রিকা'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#এডুকেশন গেজেট|''এডুকেশন গেজেট'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#সোমপ্রকাশ|''সোমপ্রকাশ'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#রহস্য-সন্দর্ভ|''রহস্য-সন্দর্ভ'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#অবোধবন্ধু|''অবোধবন্ধু'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#বঙ্গদর্শন|''বঙ্গদর্শন'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#প্রচার|''প্রচার'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#নবজীবন|''নবজীবন'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#ভারতী|''ভারতী'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#বালক|''বালক'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#সাধনা|''সাধনা'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#বঙ্গবাসী|''বঙ্গবাসী'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#হিতবাদী|''হিতবাদী'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#জন্মভূমি|''জন্মভূমি'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#বামাবোধিনী|''বামাবোধিনী'']]
## [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#পত্রিকাকেন্দ্রিক লেখকগোষ্ঠী|পত্রিকাকেন্দ্রিক লেখকগোষ্ঠী]]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#তত্ত্ববোধিনী গোষ্ঠী|তত্ত্ববোধিনী গোষ্ঠী]]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#বঙ্গদর্শন গোষ্ঠী|বঙ্গদর্শন গোষ্ঠী]]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#ভারতী ও সাধনা গোষ্ঠী|ভারতী ও সাধনা গোষ্ঠী]]
## [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#অবদান|অবদান]]
# [[/রাজা রামমোহন রায়|রাজা রামমোহন রায়]]
## [[/রাজা রামমোহন রায়#রামমোহন রায়ের রচনাবলি|রামমোহন রায়ের রচনাবলি]]
## [[/রাজা রামমোহন রায়#রামমোহন রায়ের গদ্যরীতি|রামমোহন রায়ের গদ্যরীতি]]
## [[/রাজা রামমোহন রায়#গদ্যশিল্পে রামমোহন রায়ের প্রভাব|গদ্যশিল্পে রামমোহন রায়ের প্রভাব]]
# [[/অক্ষয়কুমার দত্ত|অক্ষয়কুমার দত্ত]]
# [[/ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর|ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর]]
## [[/ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর#অনুবাদ সাহিত্য|অনুবাদ সাহিত্য]]
## [[/ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর#মৌলিক রচনা|মৌলিক রচনা]]
## [[/ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর#বিদ্যাসাগরের গদ্যরীতির বৈশিষ্ট্য|বিদ্যাসাগরের গদ্যরীতির বৈশিষ্ট্য]]
## [[/ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর#‘বাংলা গদ্যের জনক’|‘বাংলা গদ্যের জনক’]]
# [[/দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর|দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর]]
# [[/ভূদেব মুখোপাধ্যায়|ভূদেব মুখোপাধ্যায়]]
# [[/রাজনারায়ণ বসু|রাজনারায়ণ বসু]]
# [[/বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রবন্ধসাহিত্য|বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রবন্ধসাহিত্য]]
## [[/বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রবন্ধসাহিত্য#বঙ্কিমচন্দ্রের প্রবন্ধসাহিত্যে বৈচিত্র্য|বৈচিত্র্য]]
## [[/বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রবন্ধসাহিত্য#জ্ঞানচর্চামূলক প্রবন্ধ|জ্ঞানচর্চামূলক প্রবন্ধ]]
## [[/বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রবন্ধসাহিত্য#বিচারমূলক প্রবন্ধ|বিচারমূলক প্রবন্ধ]]
## [[/বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রবন্ধসাহিত্য#রসব্যঞ্জনামূলক প্রবন্ধ|রসব্যঞ্জনামূলক প্রবন্ধ]]
## [[/বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রবন্ধসাহিত্য#প্রবন্ধসাহিত্যে বঙ্কিমচন্দ্রের অবদান|অবদান]]
# [[/বঙ্কিম-সমকালীন প্রাবন্ধিক গোষ্ঠী|বঙ্কিম-সমকালীন প্রাবন্ধিক গোষ্ঠী]]
# [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক বাংলা প্রবন্ধসাহিত্য|রবীন্দ্র-সমসাময়িক প্রবন্ধসাহিত্য]]
## [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক বাংলা প্রবন্ধসাহিত্য#বলেন্দ্রনাথ ঠাকুর|বলেন্দ্রনাথ ঠাকুর]]
## [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক বাংলা প্রবন্ধসাহিত্য#অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর|অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর]]
## [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক বাংলা প্রবন্ধসাহিত্য#রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদী|রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদী]]
## [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক বাংলা প্রবন্ধসাহিত্য#প্রমথ চৌধুরী|প্রমথ চৌধুরী]]
## [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক বাংলা প্রবন্ধসাহিত্য#পাঁচকড়ি বন্দ্যোপাধ্যায়|পাঁচকড়ি বন্দ্যোপাধ্যায়]]
## [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক বাংলা প্রবন্ধসাহিত্য#মোহিতলাল মজুমদার|মোহিতলাল মজুমদার]]
## [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক বাংলা প্রবন্ধসাহিত্য#রবীন্দ্র-পরবর্তীকালের বাংলা প্রবন্ধসাহিত্য|রবীন্দ্র-পরবর্তীকালের বাংলা প্রবন্ধসাহিত্য]]
===পরিশিষ্ট: বাংলা গদ্যসাহিত্য===
# [[/রামমোহন, বিদ্যাসাগর ও অক্ষয়কুমারের অবদান|রামমোহন, বিদ্যাসাগর ও অক্ষয়কুমারের অবদান]]
# [[/বাংলা গদ্যে আলালী ও বিদ্যাসাগরী রীতির বিবর্তন|বাংলা গদ্যে আলালী ও বিদ্যাসাগরী রীতির বিবর্তন]]
# [[/বাংলা গদ্যে চলিত রীতির বিবর্তন|বাংলা গদ্যে চলিত রীতি বিবর্তন]]
# [[/ভূদেব মুখোপাধ্যায় ও বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়|ভূদেব মুখোপাধ্যায় ও বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়]]
=== পর্ব ২: বাংলা উপন্যাস ও ছোটোগল্প ===
# [[/উপন্যাসের সূত্রপাত|বাংলা সাহিত্যে উপন্যাসের সূত্রপাত]]
## [[/উপন্যাসের সূত্রপাত#উপন্যাসের সূত্রপাত|উপন্যাসের সূত্রপাত]]
## [[/উপন্যাসের সূত্রপাত#উপন্যাস রচনার প্রথম প্রচেষ্টা|উপন্যাস রচনার প্রথম প্রচেষ্টা]]
## [[/উপন্যাসের সূত্রপাত#হানা ক্যাথারিন মুলেন্সের ফুলমণি ও করুণার বৃত্তান্ত|হানা ক্যাথারিন মুলেন্সের ''ফুলমণি ও করুণার বৃত্তান্ত'']]
## [[/উপন্যাসের সূত্রপাত#প্যারীচাঁদ মিত্রের আলালের ঘরের দুলাল|প্যারীচাঁদ মিত্রের ''আলালের ঘরের দুলাল'']]
## [[/উপন্যাসের সূত্রপাত#কালীপ্রসন্ন সিংহের হুতোম প্যাঁচার নক্সা|কালীপ্রসন্ন সিংহের ''হুতোম প্যাঁচার নক্সা'']]
## [[/উপন্যাসের সূত্রপাত#রোম্যান্স রচনার সূত্রপাত|রোম্যান্স রচনার সূত্রপাত: ভূদেব মুখোপাধ্যায়, কৃষ্ণকমল ভট্টাচার্য ও গোপীমোহন ঘোষ]]
## [[/উপন্যাসের সূত্রপাত#সূচনা পর্বের উপন্যাসের সাহিত্যমূল্য|সূচনা পর্বের উপন্যাসের সাহিত্যমূল্য]]
# [[/বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের উপন্যাস|বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের উপন্যাস]]
# [[/বঙ্কিম-সমকালীন ঔপন্যাসিক গোষ্ঠী|বঙ্কিম-সমকালীন ঔপন্যাসিক গোষ্ঠী]]
## [[/বঙ্কিম-সমকালীন ঔপন্যাসিক গোষ্ঠী#রমেশচন্দ্র দত্ত|রমেশচন্দ্র দত্ত]]
## [[/বঙ্কিম-সমকালীন ঔপন্যাসিক গোষ্ঠী#সঞ্জীবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়|সঞ্জীবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়]]
## [[/বঙ্কিম-সমকালীন ঔপন্যাসিক গোষ্ঠী#তারকনাথ গঙ্গোপাধ্যায়|তারকনাথ গঙ্গোপাধ্যায়]]
## [[/বঙ্কিম-সমকালীন ঔপন্যাসিক গোষ্ঠী#প্রতাপচন্দ্র ঘোষ|প্রতাপচন্দ্র ঘোষ]]
## [[/বঙ্কিম-সমকালীন ঔপন্যাসিক গোষ্ঠী#স্বর্ণকুমারী দেবী|স্বর্ণকুমারী দেবী]]
## [[/বঙ্কিম-সমকালীন ঔপন্যাসিক গোষ্ঠী#বঙ্কিমযুগের অন্যান্য ঔপন্যাসিক|বঙ্কিমযুগের অন্যান্য ঔপন্যাসিক]]
# [[/বিশ শতকের বাংলা উপন্যাস|বিশ শতকের বাংলা উপন্যাস]]
# [[/প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়ের উপন্যাস|প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়ের উপন্যাস]]
# [[/শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের উপন্যাস|শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের উপন্যাস]]
# [[/শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ছোটোগল্প|শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ছোটোগল্প]]
# [[/বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়|বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়]]
# [[/তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়|তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়]]
# [[/মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়|মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়]]
# [[/বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায়|বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায়]]
# [[/দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী যুগের ছোটোগল্প ও উপন্যাস|দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী যুগের ছোটোগল্প ও উপন্যাস]]
## [[/দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী যুগের ছোটোগল্প ও উপন্যাস#হৃদয়বৃত্তিমূলক কথাসাহিত্য|হৃদয়বৃত্তিমূলক কথাসাহিত্য]]
## [[/দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী যুগের ছোটোগল্প ও উপন্যাস#চিন্তামূলক মননশীল কথাসাহিত্য|চিন্তামূলক মননশীল কথাসাহিত্য]]
## [[/দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী যুগের ছোটোগল্প ও উপন্যাস#বিকৃত-চিন্তামূলক বিদ্রোহাত্মক কথাসাহিত্য|বিকৃত-চিন্তামূলক বিদ্রোহাত্মক কথাসাহিত্য]]
## [[/দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী যুগের ছোটোগল্প ও উপন্যাস#বাস্তববুদ্ধিমূলক মানবিক কথাসাহিত্য|বাস্তববুদ্ধিমূলক মানবিক কথাসাহিত্য]]
## [[/দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী যুগের ছোটোগল্প ও উপন্যাস#কৌতুকরসাত্মক কথাসাহিত্য|কৌতুকরসাত্মক কথাসাহিত্য]]
=== পর্ব ৩: বাংলা নাটক ===
# [[/আধুনিক বাংলা নাটকের উদ্ভব|আধুনিক বাংলা নাটকের উদ্ভব]]
## [[/আধুনিক বাংলা নাটকের উদ্ভব#যাত্রার আদিরূপ|যাত্রার আদিরূপ]]
## [[/আধুনিক বাংলা নাটকের উদ্ভব#মধ্যযুগে নাট্যরস পরিবেশনের প্রয়াস|মধ্যযুগে নাট্যরস পরিবেশনের প্রয়াস]]
## [[/আধুনিক বাংলা নাটকের উদ্ভব#যাত্রা|যাত্রা]]
## [[/আধুনিক বাংলা নাটকের উদ্ভব#নতুন যাত্রাপদ্ধতি ও গীতাভিনয়|নতুন যাত্রাপদ্ধতি ও গীতাভিনয়]]
## [[/আধুনিক বাংলা নাটকের উদ্ভব#যাত্রাপালা এবং মির্যাকল প্লে ও মর্যালিটি প্লে|যাত্রাপালা এবং মির্যাকল প্লে ও মর্যালিটি প্লে]]
## [[/আধুনিক বাংলা নাটকের উদ্ভব#ইংরেজি নাট্যশালার আদর্শ ও বাংলা নাটক|ইংরেজি নাট্যশালার আদর্শ ও বাংলা নাটক]]
# [[/সাধারণ নাট্যশালা প্রতিষ্ঠার পূর্ববর্তী নাট্যশালা|সাধারণ নাট্যশালা প্রতিষ্ঠার পূর্ববর্তী নাট্যশালা]]
## [[/সাধারণ নাট্যশালা প্রতিষ্ঠার পূর্ববর্তী নাট্যশালা#প্লে হাউস ও অন্যান্য ইংরেজি নাট্যশালা|প্লে হাউস ও অন্যান্য ইংরেজি নাট্যশালা]]
## [[/সাধারণ নাট্যশালা প্রতিষ্ঠার পূর্ববর্তী নাট্যশালা#গেরাসিম লেবেদেভ ও বেঙ্গলি থিয়েটার|গেরাসিম লেবেদেভ ও বেঙ্গলি থিয়েটার]]
## [[/সাধারণ নাট্যশালা প্রতিষ্ঠার পূর্ববর্তী নাট্যশালা#হিন্দু থিয়েটার ও নবীন বসুর বাড়ির নাট্যশালা|হিন্দু থিয়েটার ও নবীন বসুর বাড়ির নাট্যশালা]]
## [[/সাধারণ নাট্যশালা প্রতিষ্ঠার পূর্ববর্তী নাট্যশালা#ওরিয়েন্টাল থিয়েটার|ওরিয়েন্টাল থিয়েটার]]
## [[/সাধারণ নাট্যশালা প্রতিষ্ঠার পূর্ববর্তী নাট্যশালা#সংস্কৃত নাটকের বঙ্গানুবাদ ও প্রথম মৌলিক বাংলা নাটকের অভিনয়|সংস্কৃত নাটকের বঙ্গানুবাদ ও প্রথম মৌলিক বাংলা নাটকের অভিনয়]]
## [[/সাধারণ নাট্যশালা প্রতিষ্ঠার পূর্ববর্তী নাট্যশালা#বেলগাছিয়া থিয়েটার ও মাইকেল মধুসূদন দত্ত|বেলগাছিয়া থিয়েটার ও মাইকেল মধুসূদন দত্ত]]
## [[/সাধারণ নাট্যশালা প্রতিষ্ঠার পূর্ববর্তী নাট্যশালা#ন্যাশনাল থিয়েটার: বাংলার প্রথম সাধারণ নাট্যশালা|ন্যাশনাল থিয়েটার: বাংলার প্রথম সাধারণ নাট্যশালা]]
# [[/আদি পর্বের অনুবাদ ও মৌলিক নাটক|আদি পর্বের অনুবাদ ও মৌলিক নাটক]]
## [[/আদি পর্বের অনুবাদ ও মৌলিক নাটক#ইংরেজি ও সংস্কৃত নাটকের অনুবাদ|ইংরেজি ও সংস্কৃত নাটকের অনুবাদ]]
### [[/আদি পর্বের অনুবাদ ও মৌলিক নাটক#ইংরেজি নাটকের অনুবাদ|ইংরেজি নাটকের অনুবাদ]]
### [[/আদি পর্বের অনুবাদ ও মৌলিক নাটক#সংস্কৃত নাটকের অনুবাদ|সংস্কৃত নাটকের অনুবাদ]]
## [[/আদি পর্বের অনুবাদ ও মৌলিক নাটক#মৌলিক নাটক|মৌলিক নাটক]]
### [[/আদি পর্বের অনুবাদ ও মৌলিক নাটক#যোগেন্দ্রচন্দ্র গুপ্ত|যোগেন্দ্রচন্দ্র গুপ্ত]]
### [[/আদি পর্বের অনুবাদ ও মৌলিক নাটক#তারাচরণ শিকদার|তারাচরণ শিকদার]]
### [[/আদি পর্বের অনুবাদ ও মৌলিক নাটক#হরচন্দ্র ঘোষ|হরচন্দ্র ঘোষ]]
### [[/আদি পর্বের অনুবাদ ও মৌলিক নাটক#কালীপ্রসন্ন সিংহ|কালীপ্রসন্ন সিংহ]]
# [[/রামনারায়ণ তর্করত্ন|রামনারায়ণ তর্করত্ন]]
## [[/রামনারায়ণ তর্করত্ন#কুলীনকুলসর্বস্ব|''কুলীনকুলসর্বস্ব'']]
## [[/রামনারায়ণ তর্করত্ন#অন্যান্য নাটক|অন্যান্য নাটক]]
## [[/রামনারায়ণ তর্করত্ন#মূল্যায়ন|মূল্যায়ন]]
# [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের নাট্যসাহিত্য|মাইকেল মধুসূদন দত্ত]]
## [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের নাট্যসাহিত্য#প্রাক্-মধুসূদন যুগের বাংলা নাটক ও মধুসূদন|প্রাক্-মধুসূদন যুগের বাংলা নাটক ও মধুসূদন]]
## [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের নাট্যসাহিত্য#পৌরাণিক নাটক|পৌরাণিক নাটক]]
### [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের নাট্যসাহিত্য#''শর্মিষ্ঠা''|''শর্মিষ্ঠা'']]
### [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের নাট্যসাহিত্য#''পদ্মাবতী''|''পদ্মাবতী'']]
## [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের নাট্যসাহিত্য#ঐতিহাসিক নাটক: ট্র্যাজেডি|ঐতিহাসিক নাটক: ট্র্যাজেডি]]
### [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের নাট্যসাহিত্য#''কৃষ্ণকুমারী''|''কৃষ্ণকুমারী'']]
## [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের নাট্যসাহিত্য#প্রহসন|প্রহসন: ''একেই কি বলে সভ্যতা'' ও ''বুড়ো শালিকের ঘাড়ে রোঁ'']]
## [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের নাট্যসাহিত্য#প্রহসন|অন্যান্য নাটক: ''মায়াকানন'' ও ''বিষ না ধনুর্গুণ'']]
## [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের নাট্যসাহিত্য#বাংলা নাটকের ইতিহাসে মাইকেল মধুসূদন দত্তের স্থান|বাংলা নাটকের ইতিহাসে মাইকেল মধুসূদন দত্তের স্থান]]
# [[/দীনবন্ধু মিত্র|দীনবন্ধু মিত্র]]
## [[/দীনবন্ধু মিত্র#সামাজিক নাটক|সামাজিক নাটক]]
### [[/দীনবন্ধু মিত্র#নীলদর্পণ|''নীলদর্পণ'']]
#### [[/দীনবন্ধু মিত্র#নীল বিদ্রোহ ও নীলদর্পণ নাটক|নীল বিদ্রোহ ও ''নীলদর্পণ'' নাটক]]
#### [[/দীনবন্ধু মিত্র#নীলদর্পণ নাটকের সংক্ষিপ্ত কাহিনি|''নীলদর্পণ'' নাটকের সংক্ষিপ্ত কাহিনি]]
#### [[/দীনবন্ধু মিত্র#সমালোচনা|সমালোচনা]]
## [[/দীনবন্ধু মিত্র#অন্যান্য নাটক|অন্যান্য নাটক]]
### [[/দীনবন্ধু মিত্র#প্রহসন|প্রহসন]]
#### [[/দীনবন্ধু মিত্র#সধবার একাদশী ও নিমচাঁদ চরিত্র|''সধবার একাদশী'' ও নিমচাঁদ চরিত্র]]
## [[/দীনবন্ধু মিত্র#বাংলা নাট্যসাহিত্যে দীনবন্ধু মিত্রের অবদান|বাংলা নাট্যসাহিত্যে দীনবন্ধু মিত্রের অবদান]]
# [[/মনোমোহন বসু|মনোমোহন বসু]]
# [[/জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর|জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর]]
## [[/জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর#জ্যোতিরিন্দ্রনাথের ঐতিহাসিক নাটক|ঐতিহাসিক নাটক]]
## [[/জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর#জ্যোতিরিন্দ্রনাথের প্রহসন|প্রহসন]]
## [[/জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর#জ্যোতিরিন্দ্রনাথের অনুবাদ নাটক|অনুবাদ নাটক]]
# [[/উপেন্দ্রনাথ দাস|উপেন্দ্রনাথ দাস]]
# [[/রাজকৃষ্ণ রায়|রাজকৃষ্ণ রায়]]
# [[/গিরিশচন্দ্র ঘোষ|গিরিশচন্দ্র ঘোষ]]
# [[/অমৃতলাল বসু|অমৃতলাল বসু]]
# [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়|দ্বিজেন্দ্রলাল রায়]]
## [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#প্রহসন|প্রহসন]]
### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#কল্কি অবতার|''কল্কি অবতার'']]
### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#বিরহ|''বিরহ'']]
### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#ত্র্যহস্পর্শ|''ত্র্যহস্পর্শ'']]
### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#প্রায়শ্চিত্ত|''প্রায়শ্চিত্ত'']]
### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#পুনর্জন্ম|''পুনর্জন্ম'']]
### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#আনন্দবিদায়|''আনন্দবিদায়'']]
## [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#পৌরাণিক নাটক|পৌরাণিক নাটক]]
### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#পাষাণী|''পাষাণী'']]
### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#সীতা|''সীতা'']]
### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#ভীষ্ম|''ভীষ্ম'']]
## [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#সামাজিক নাটক|সামাজিক নাটক]]
### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#পরপারে|''পরপারে'']]
### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#বঙ্গনারী|''বঙ্গনারী'']]
## [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#অপেরা|অপেরা]]
### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#সোরাব-রুস্তম|''সোরাব-রুস্তম'']]
## [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#ঐতিহাসিক নাটক|ঐতিহাসিক নাটক]]
### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#রাজপুত ইতিহাস-নির্ভর ঐতিহাসিক নাটক|রাজপুত ইতিহাস-নির্ভর ঐতিহাসিক নাটক]]
#### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#তারাবাঈ|''তারাবাঈ'']]
#### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#রাণা প্রতাপ সিংহ|''রাণা প্রতাপ সিংহ'']]
#### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#দুর্গাদাস|''দুর্গাদাস'']]
#### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#মেবার পতন|''মেবার পতন'']]
### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#অন্যান্য ঐতিহাসিক নাটক|অন্যান্য ঐতিহাসিক নাটক]]
#### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#নূরজাহান|''নূরজাহান'']]
#### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#সাজাহান|''সাজাহান'']]
#### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#চন্দ্রগুপ্ত|''চন্দ্রগুপ্ত'']]
#### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#সিংহল বিজয়|''সিংহল বিজয়'']]
## [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#দ্বিজেন্দ্রলালের নাটকে সংলাপের ভাষা|দ্বিজেন্দ্রলালের নাটকে সংলাপের ভাষা]]
## [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#মূল্যায়ন|মূল্যায়ন]]
# [[/ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ|ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ]]
## [[/ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ#অপেরা বা গীতিমুখর নাটক|অপেরা বা গীতিমুখর নাটক]]
## [[/ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ#পৌরাণিক নাটক|পৌরাণিক নাটক]]
## [[/ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ#কাল্পনিক নাটক|কাল্পনিক নাটক]]
## [[/ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ#অপেরা বা গীতিমুখর নাটক|অপেরা বা গীতিমুখর নাটক]]
## [[/ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ#ঐতিহাসিক নাটক|ঐতিহাসিক নাটক]]
## [[/ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ#মূল্যায়ন|মূল্যায়ন]]
# [[/বিশ শতকের বাংলা নাটক|বিশ শতকের বাংলা নাটক]]
## [[/বিশ শতকের বাংলা নাটক#অপরেশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়|অপরেশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়]]
## [[/বিশ শতকের বাংলা নাটক#গতানুগতিক ধারার নাট্যকারগণ|গতানুগতিক ধারার নাট্যকারগণ]]
## [[/বিশ শতকের বাংলা নাটক#যোগেশচন্দ্র চৌধুরী|যোগেশচন্দ্র চৌধুরী]]
## [[/বিশ শতকের বাংলা নাটক#মন্মথ রায়|মন্মথ রায়]]
## [[/বিশ শতকের বাংলা নাটক#শচীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত|শচীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত]]
## [[/বিশ শতকের বাংলা নাটক#বিধায়ক ভট্টাচার্য|বিধায়ক ভট্টাচার্য]]
## [[/বিশ শতকের বাংলা নাটক#প্রমথনাথ বিশী|প্রমথনাথ বিশী]]
## [[/বিশ শতকের বাংলা নাটক#জীবনী নাটক|জীবনী নাটক]]
## [[/বিশ শতকের বাংলা নাটক#নবনাট্য আন্দোলন|নবনাট্য আন্দোলন]]
## [[/বিশ শতকের বাংলা নাটক#বিদেশি নাটকের বঙ্গীকরণ|বিদেশি নাটকের বঙ্গীকরণ]]
# [[/পৌরাণিক নাটক|বাংলা পৌরাণিক নাটকের বিকাশ]]
## [[/পৌরাণিক নাটক#প্রথম পর্বের বাংলা পৌরাণিক নাটক|প্রথম পর্ব: হরচন্দ্র ঘোষ, কালীপ্রসন্ন সিংহ, মাইকেল মধুসূদন দত্ত ও রামনারায়ণ তর্করত্ন]]
## [[/পৌরাণিক নাটক#দ্বিতীয় পর্বের বাংলা পৌরাণিক নাটক|দ্বিতীয় পর্ব: মনোমোহন বসু, রাজকৃষ্ণ রায়, অতুলকৃষ্ণ মিত্র ও গিরিশচন্দ্র ঘোষ]]
## [[/পৌরাণিক নাটক#তৃতীয় পর্বের বাংলা পৌরাণিক নাটক|তৃতীয় পর্ব: দ্বিজেন্দ্রলাল রায়, ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ, অপরেশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়, ভূপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, যোগেশচন্দ্র চৌধুরী, মন্মথ রায় ও মহেন্দ্র গুপ্ত]]
## [[/পৌরাণিক নাটক#বাংলা পৌরাণিক নাটকের পরিণতি|পরিণতি]]
# [[/ঐতিহাসিক নাটক|বাংলা ঐতিহাসিক নাটকের বিকাশ]]
## [[/ঐতিহাসিক নাটক#প্রথম পর্ব: মাইকেল মধুসূদন দত্ত|প্রথম পর্ব: মাইকেল মধুসূদন দত্ত]]
## [[/ঐতিহাসিক নাটক#দ্বিতীয় পর্ব: জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর, ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ, দ্বিজেন্দ্রলাল রায়, গিরিশচন্দ্র ঘোষ ও অন্যান্য নাট্যকার|দ্বিতীয় পর্ব: জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর, ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ, দ্বিজেন্দ্রলাল রায়, গিরিশচন্দ্র ঘোষ ও অন্যান্য নাট্যকার]]
## [[/ঐতিহাসিক নাটক#তৃতীয় পর্ব: যোগেশচন্দ্র চৌধুরী ও অন্যান্য নাট্যকার|তৃতীয় পর্ব: যোগেশচন্দ্র চৌধুরী ও অন্যান্য নাট্যকার]]
# [[/সামাজিক ও পারিবারিক নাটক|বাংলা সামাজিক ও পারিবারিক নাটকের বিকাশ]]
## [[/সামাজিক ও পারিবারিক নাটক#প্রথম পর্বের সামাজিক নাটক|প্রথম পর্বের সামাজিক নাটক: রামনারায়ণ তর্করত্ন, উমেশচন্দ্র মিত্র, দীনবন্ধু মিত্র ও অন্যান্য]]
## [[/সামাজিক ও পারিবারিক নাটক#দ্বিতীয় পর্বের সামাজিক ও পারিবারিক নাটক|দ্বিতীয় পর্বের সামাজিক ও পারিবারিক নাটক: উপেন্দ্রনাথ দাস, গিরিশচন্দ্র ঘোষ, দ্বিজেন্দ্রলাল রায় ও অন্যান্য]]
## [[/সামাজিক ও পারিবারিক নাটক#তৃতীয় পর্বের পারিবারিক নাটক|তৃতীয় পর্বের পারিবারিক নাটক: শচীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত, জলধর চট্টোপাধ্যায়, মহেন্দ্র গুপ্ত ও বিধায়ক ভট্টাচার্য]]
## [[/সামাজিক ও পারিবারিক নাটক#চতুর্থ পর্বের আধুনিক সমাজ-সচেতন নাটক|চতুর্থ পর্বের আধুনিক সমাজ-সচেতন নাটক: বিজন ভট্টাচার্য, তুলসী লাহিড়ী, সলিল সেন ও অন্যান্য]]
# [[/প্রহসন|বাংলা প্রহসনের বিকাশ]]
## [[/প্রহসন#প্রথম পর্বের প্রহসন: রামনারায়ণ তর্করত্ন, কালীপ্রসন্ন সিংহ, মাইকেল মধুসূদন দত্ত, দীনবন্ধু মিত্র ও জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর|প্রথম পর্বের প্রহসন: রামনারায়ণ তর্করত্ন, কালীপ্রসন্ন সিংহ, মাইকেল মধুসূদন দত্ত, দীনবন্ধু মিত্র ও জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর]]
## [[/প্রহসন#দ্বিতীয় পর্বের প্রহসন: গিরিশচন্দ্র ঘোষ, অমৃতলাল বসু, দ্বিজেন্দ্রলাল রায়, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর|দ্বিতীয় পর্বের প্রহসন: গিরিশচন্দ্র ঘোষ, অমৃতলাল বসু, দ্বিজেন্দ্রলাল রায়, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর]]
## [[/প্রহসন#তৃতীয় পর্বের প্রহসন: রবীন্দ্রনাথ মৈত্র, প্রমথনাথ বিশী, বিধায়ক ভট্টাচার্য প্রমুখ|তৃতীয় পর্বের প্রহসন: রবীন্দ্রনাথ মৈত্র, প্রমথনাথ বিশী, বিধায়ক ভট্টাচার্য প্রমুখ]]
=== পর্ব ৪: আধুনিক বাংলা কাব্যসাহিত্য ===
# [[/কবিওয়ালা|কবিওয়ালা]]
# [[/ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত|ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত]]
# [[/মদনমোহন তর্কালঙ্কার|মদনমোহন তর্কালঙ্কার]]
# [[/উনিশ শতকের মহাকাব্য ও আখ্যানকাব্য|উনিশ শতকের বাংলা মহাকাব্য ও আখ্যানকাব্য]]
## [[/উনিশ শতকের মহাকাব্য ও আখ্যানকাব্য#আখ্যানকাব্যের বৈশিষ্ট্য|আখ্যানকাব্যের বৈশিষ্ট্য]]
## [[/উনিশ শতকের মহাকাব্য ও আখ্যানকাব্য#মহাকাব্যের বৈশিষ্ট্য|মহাকাব্যের বৈশিষ্ট্য]]
### [[/উনিশ শতকের মহাকাব্য ও আখ্যানকাব্য#মাইকেল মধুসূদন দত্তের মহাকাব্য|মাইকেল মধুসূদন দত্তের মহাকাব্য]]
### [[/উনিশ শতকের মহাকাব্য ও আখ্যানকাব্য#হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের মহাকাব্য ও আখ্যানকাব্য|হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের মহাকাব্য ও আখ্যানকাব্য]]
### [[/উনিশ শতকের মহাকাব্য ও আখ্যানকাব্য#নবীনচন্দ্র সেনের মহাকাব্য ও আখ্যানকাব্য|নবীনচন্দ্র সেনের মহাকাব্য ও আখ্যানকাব্য]]
## [[/উনিশ শতকের মহাকাব্য ও আখ্যানকাব্য#বাংলা মহাকাব্যের পরিণতি|বাংলা মহাকাব্যের পরিণতি]]
## [[/উনিশ শতকের মহাকাব্য ও আখ্যানকাব্য#বাংলা আখ্যানকাব্যের পরিণতি|বাংলা আখ্যানকাব্যের পরিণতি]]
# [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের কাব্যসাহিত্য|মাইকেল মধুসূদন দত্ত]]
## [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের কাব্যসাহিত্য#কাব্যসাহিত্য|কাব্যসাহিত্য]]
### [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের কাব্যসাহিত্য#তিলোত্তমাসম্ভব কাব্য|''তিলোত্তমাসম্ভব কাব্য'']]
### [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের কাব্যসাহিত্য#মেঘনাদবধ কাব্য|''মেঘনাদবধ কাব্য'']]
### [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের কাব্যসাহিত্য#ব্রজাঙ্গনা কাব্য|''ব্রজাঙ্গনা কাব্য'']]
### [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের কাব্যসাহিত্য#বীরাঙ্গনা কাব্য|''বীরাঙ্গনা কাব্য'']]
### [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের কাব্যসাহিত্য#চতুর্দশপদী কবিতাবলী|''চতুর্দশপদী কবিতাবলী'']]
## [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের কাব্যসাহিত্য#মূল্যায়ন|মূল্যায়ন]]
# [[/রঙ্গলাল বন্দ্যোপাধ্যায়|রঙ্গলাল বন্দ্যোপাধ্যায়]]
# [[/হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়|হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়]]
# [[/নবীনচন্দ্র সেন|নবীনচন্দ্র সেন]]
# [[/বিহারীলাল চক্রবর্তী|বিহারীলাল চক্রবর্তী]]
## [[/বিহারীলাল চক্রবর্তী#রচনাবলি|রচনাবলি]]
## [[/বিহারীলাল চক্রবর্তী#কবিপ্রতিভার বৈশিষ্ট্য|কবিপ্রতিভার বৈশিষ্ট্য]]
## [[/বিহারীলাল চক্রবর্তী#শৈল্পিক ত্রুটি|শৈল্পিক ত্রুটি]]
## [[/বিহারীলাল চক্রবর্তী#বিশুদ্ধ গীতিকবিতার জনক বিহারীলাল|বিশুদ্ধ গীতিকবিতার জনক বিহারীলাল]]
# [[/আখ্যানকাব্য ও গীতিকাব্যের ধারা ও পরিণাম|বাংলা আখ্যানকাব্য ও গীতিকাব্যের ধারা ও পরিণাম]]
# [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক কবিগণ|রবীন্দ্র-সমসাময়িক কবিগণ]]
## [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক কবিগণ#রবীন্দ্র-পরিমণ্ডলের অন্তর্ভুক্ত কবিগণ|রবীন্দ্র-পরিমণ্ডলের অন্তর্ভুক্ত কবিগণ]]
## [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক কবিগণ#রবীন্দ্র-প্রভাবিক কবিগোষ্ঠী|রবীন্দ্র-প্রভাবিক কবিগোষ্ঠী]]
### [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক কবিগণ#দ্বিজেন্দ্রলাল রায়|দ্বিজেন্দ্রলাল রায়]]
### [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক কবিগণ#সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত|সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত]]
### [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক কবিগণ#করুণানিধন বন্দ্যোপাধ্যায়|করুণানিধন বন্দ্যোপাধ্যায়]]
### [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক কবিগণ#যতীন্দ্রমোহন বাগচি|যতীন্দ্রমোহন বাগচি]]
### [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক কবিগণ#কুমুদরঞ্জন মল্লিক, কালিদাস রায় ও কিরণধন চট্টোপাধ্যায়|কুমুদরঞ্জন মল্লিক, কালিদাস রায় ও কিরণধন চট্টোপাধ্যায়]]
## [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক কবিগণ#রবীন্দ্রবিরোধী কবিগোষ্ঠী|রবীন্দ্রবিরোধী কবিগোষ্ঠী]]
### [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক কবিগণ#মোহিতলাল মজুমদার|মোহিতলাল মজুমদার]]
### [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক কবিগণ#যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত|যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত]]
### [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক কবিগণ#কাজী নজরুল ইসলাম|কাজী নজরুল ইসলাম]]
# [[/উনিশ শতকের মহিলা কবিগণ|উনিশ শতকের মহিলা কবিগণ]]
## [[/উনিশ শতকের মহিলা কবিগণ#মোক্ষদায়িনী মুখোপাধ্যায়|মোক্ষদায়িনী মুখোপাধ্যায়]]
## [[/উনিশ শতকের মহিলা কবিগণ#স্বর্ণকুমারী দেবী|স্বর্ণকুমারী দেবী]]
## [[/উনিশ শতকের মহিলা কবিগণ#গিরীন্দ্রমোহিনী দাসী|গিরীন্দ্রমোহিনী দাসী]]
## [[/উনিশ শতকের মহিলা কবিগণ#মানকুমারী বসু|মানকুমারী বসু]]
## [[/উনিশ শতকের মহিলা কবিগণ#কামিনী রায়|কামিনী রায়]]
## [[/উনিশ শতকের মহিলা কবিগণ#সরোজকুমারী দেবী|সরোজকুমারী দেবী]]
## [[/উনিশ শতকের মহিলা কবিগণ#অন্যান্য মহিলা কবিগণ|অন্যান্য মহিলা কবিগণ]]
# [[/রবীন্দ্র-পরবর্তী বাংলা কবিতা|রবীন্দ্র-পরবর্তী বাংলা কবিতা]]
## [[/রবীন্দ্র-পরবর্তী বাংলা কবিতা#বুদ্ধদেব বসু|বুদ্ধদেব বসু]]
## [[/রবীন্দ্র-পরবর্তী বাংলা কবিতা#জীবনানন্দ দাশ|জীবনানন্দ দাশ]]
## [[/রবীন্দ্র-পরবর্তী বাংলা কবিতা#অজিত দত্ত|অজিত দত্ত]]
## [[/রবীন্দ্র-পরবর্তী বাংলা কবিতা#সুধীন্দ্রনাথ দত্ত|সুধীন্দ্রনাথ দত্ত]]
## [[/রবীন্দ্র-পরবর্তী বাংলা কবিতা#বিষ্ণু দে|বিষ্ণু দে]]
## [[/রবীন্দ্র-পরবর্তী বাংলা কবিতা#প্রেমেন্দ্র মিত্র|প্রেমেন্দ্র মিত্র]]
## [[/রবীন্দ্র-পরবর্তী বাংলা কবিতা#অমিয় চক্রবর্তী|অমিয় চক্রবর্তী]]
## [[/রবীন্দ্র-পরবর্তী বাংলা কবিতা#সমর সেন|সমর সেন]]
## [[/রবীন্দ্র-পরবর্তী বাংলা কবিতা#সুকান্ত ভট্টাচার্য|সুকান্ত ভট্টাচার্য]]
## [[/রবীন্দ্র-পরবর্তী বাংলা কবিতা#অন্যান্য কবিগণ|অন্যান্য কবিগণ]]
=== পর্ব ৫: রবীন্দ্রসাহিত্য ===
# [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতা|কবিতা]]
# [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক|নাটক]]
## [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#রবীন্দ্রনাথের গীতিনাট্য: বাল্মীকিপ্রতিভা, কালমৃগয়া ও মায়ার খেলা|রবীন্দ্রনাথের গীতিনাট্য: ''বাল্মীকিপ্রতিভা'', ''কালমৃগয়া'' ও ''মায়ার খেলা'']]
## [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#রবীন্দ্রনাথের কাব্যনাট্য|কাব্যনাট্য]]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#প্রকৃতির প্রতিশোধ|''প্রকৃতির প্রতিশোধ'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#চিত্রাঙ্গদা|''চিত্রাঙ্গদা'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#বিদায় অভিশাপ|''বিদায় অভিশাপ'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#কাহিনী গ্রন্থের কাব্যনাট্যসমূহ|''কাহিনী'' গ্রন্থের কাব্যনাট্যসমূহ: "গান্ধারীর আবেদন", "সতী", "নরকবাস", "লক্ষ্মীর পরীক্ষা" ও "কর্ণকুন্তীসংবাদ"]]
## [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#রবীন্দ্রনাথের প্রথানুগ নাটক|প্রথানুগ নাটক]]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#রাজা ও রানী ও তপতী|''রাজা ও রানী'' ও ''তপতী'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#বিসর্জন|''বিসর্জন'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#মালিনী|''মালিনী'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#প্রায়শ্চিত্ত ও পরিত্রাণ|''প্রায়শ্চিত্ত'' ও ''পরিত্রাণ'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#রবীন্দ্রনাথের পারিবারিক নাটক: গৃহপ্রবেশ ও শোধবোধ|রবীন্দ্রনাথের পারিবারিক নাটক: ''গৃহপ্রবেশ'' ও ''শোধবোধ'']]
## [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#রবীন্দ্রনাথের প্রহসন বা কৌতুকনাট্য|প্রহসন বা কৌতুকনাট্য]]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#গোড়ায় গলদ ও শেষরক্ষা|''গোড়ায় গলদ'' ও ''শেষরক্ষা'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#বৈকুণ্ঠের খাতা|''বৈকুণ্ঠের খাতা'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#হাস্যকৌতুক ও ব্যঙ্গকৌতুক|''হাস্যকৌতুক'' ও ''ব্যঙ্গকৌতুক'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#চিরকুমার সভা|''চিরকুমার সভা'']]
## [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#রবীন্দ্রনাথের রূপক-সাংকেতিক নাটক|রূপক-সাংকেতিক নাটক]]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#শারদোৎসব ও ঋণশোধ|''শারদোৎসব'' ও ''ঋণশোধ'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#রাজা ও অরূপরতন|''রাজা'' ও ''অরূপরতন'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#অচলায়তন ও গুরু|''অচলায়তন'' ও ''গুরু'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#ডাকঘর|''ডাকঘর'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#ফাল্গুনী|''ফাল্গুনী'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#মুক্তধারা|''মুক্তধারা'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#রক্তকরবী|''রক্তকরবী'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#রথের রশি ও তাসের দেশ|''রথের রশি'' ও ''তাসের দেশ'']]
# [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উপন্যাস|উপন্যাস]]
# [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছোটোগল্প|ছোটোগল্প]]
# [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রবন্ধসাহিত্য|প্রবন্ধসাহিত্য]]
## [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রবন্ধসাহিত্য#প্রবন্ধসাহিত্যের শ্রেণিবিভাগ|প্রবন্ধসাহিত্যের শ্রেণিবিভাগ]]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রবন্ধসাহিত্য#প্রবন্ধসাহিত্যের শ্রেণিবিভাগ|প্রবন্ধসাহিত্যের শ্রেণিবিভাগ]]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রবন্ধসাহিত্য#সমালোচনা, সাহিত্যতত্ত্ব ও সাহিত্য আলোচনা-বিষয়ক প্রবন্ধ|সমালোচনা, সাহিত্যতত্ত্ব ও সাহিত্য আলোচনা-বিষয়ক প্রবন্ধ]]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রবন্ধসাহিত্য#শিক্ষা, সমাজ ও রাজনীতি-বিষয়ক প্রবন্ধ|শিক্ষা, সমাজ ও রাজনীতি-বিষয়ক প্রবন্ধ]]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রবন্ধসাহিত্য#ধর্ম, দর্শন ও অধ্যাত্ম-বিষয়ক প্রবন্ধ|ধর্ম, দর্শন ও অধ্যাত্ম-বিষয়ক প্রবন্ধ]]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রবন্ধসাহিত্য#ভ্রমণসাহিত্য|ভ্রমণসাহিত্য]]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রবন্ধসাহিত্য#পত্রসাহিত্য|পত্রসাহিত্য]]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রবন্ধসাহিত্য#আত্মকথা ও জীবনী|আত্মকথা ও জীবনী]]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রবন্ধসাহিত্য#আবেগধর্মী প্রবন্ধ|আবেগধর্মী প্রবন্ধ]]
## [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রবন্ধসাহিত্য#মূল্যায়ন|মূল্যায়ন]]
# [[/রবীন্দ্রসংগীত|রবীন্দ্রসংগীত]]
{{বিষয়|বাংলা সাহিত্য}}
{{বর্ণানুক্রমিক|আ}}
{{বিষয়|সাহিত্য}}
{{বইয়ের বিষয়শ্রেণী}}
d5i1r9l3bq4lw9n359vtr3z6sc8akjo
84674
84663
2025-06-17T19:41:34Z
Jonoikobangali
676
/* পর্ব ৪: আধুনিক বাংলা কাব্যসাহিত্য */
84674
wikitext
text/x-wiki
{{অবস্থা|৫০%}}<p align=center><font size=7 color="DarkBlue"><b>আধুনিক বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস</b></font></p>
==সূচিপত্র==
=== ভূমিকা ===
# [[/আধুনিক যুগের সূত্রপাত|বাংলা সাহিত্যে আধুনিক যুগের সূত্রপাত]]
## [[/আধুনিক যুগের সূত্রপাত#আধুনিকতার লক্ষণ|আধুনিকতার লক্ষণ]]
### [[/আধুনিক যুগের সূত্রপাত#মানবতাবোধ|মানবতাবোধ]]
### [[/আধুনিক যুগের সূত্রপাত#জাতীয়তাবোধ|জাতীয়তাবোধ]]
### [[/আধুনিক যুগের সূত্রপাত#বৈজ্ঞানিক চেতনা ও যুক্তিবাদ|বৈজ্ঞানিক চেতনা ও যুক্তিবাদ]]
## [[/আধুনিক যুগের সূত্রপাত#আধুনিক সাহিত্যের বিকাশ|আধুনিক সাহিত্যের বিকাশ]]
### [[/আধুনিক যুগের সূত্রপাত#গদ্যসাহিত্য|গদ্যসাহিত্য]]
### [[/আধুনিক যুগের সূত্রপাত#কথাসাহিত্য|কথাসাহিত্য]]
### [[/আধুনিক যুগের সূত্রপাত#কাব্যসাহিত্য|কাব্যসাহিত্য]]
### [[/আধুনিক যুগের সূত্রপাত#নাট্যসাহিত্য|নাট্যসাহিত্য]]
## [[/আধুনিক যুগের সূত্রপাত#মূল্যায়ন|মূল্যায়ন]]
=== পর্ব ১: বাংলা গদ্যসাহিত্য ===
# [[/গদ্যসাহিত্যের সূত্রপাত|বাংলা গদ্যসাহিত্যের সূত্রপাত (উনিশ শতকের পূর্ববর্তী বাংলা গদ্যসাহিত্য)]]
## [[/গদ্যসাহিত্যের সূত্রপাত#কোচবিহারের রাজার চিঠি ও অন্যান্য দলিল|কোচবিহারের রাজার চিঠি ও অন্যান্য দলিল]]
## [[/গদ্যসাহিত্যের সূত্রপাত#বৈষ্ণব নিবন্ধে গদ্য|বৈষ্ণব নিবন্ধে গদ্য]]
## [[/গদ্যসাহিত্যের সূত্রপাত#দোমিঙ্গো দে সোসা|দোমিঙ্গো দে সোসা]]
## [[/গদ্যসাহিত্যের সূত্রপাত#দোম আন্তোনিও দে রোজারিও: ব্রাহ্মণ-রোমান-ক্যাথলিক-সংবাদ|দোম আন্তোনিও দে রোজারিও: ''ব্রাহ্মণ-রোমান-ক্যাথলিক-সংবাদ'']]
## [[/গদ্যসাহিত্যের সূত্রপাত#মানোএল দ্য আস্মুম্পসাঁউ: কৃপার শাস্ত্রের অর্থভেদ|মানোএল দ্য আস্মুম্পসাঁউ: ''কৃপার শাস্ত্রের অর্থভেদ'']]
## [[/গদ্যসাহিত্যের সূত্রপাত#অন্যান্য নিদর্শন|অন্যান্য নিদর্শন]]
## [[/গদ্যসাহিত্যের সূত্রপাত#দেশীয় লেখকদের কৃতিত্ব|দেশীয় লেখকদের কৃতিত্ব]]
# [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ|শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ]]
## [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ#শ্রীরামপুর ব্যাপটিস্ট মিশন|শ্রীরামপুর ব্যাপটিস্ট মিশন]]
### [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ#শ্রীরামপুর ব্যাপটিস্ট মিশন প্রতিষ্ঠা|শ্রীরামপুর ব্যাপটিস্ট মিশন প্রতিষ্ঠা]]
### [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ#বাইবেল অনুবাদ|বাইবেল অনুবাদ]]
### [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ#ছাপাখানা প্রতিষ্ঠা ও সাময়িকপত্র|ছাপাখানা প্রতিষ্ঠা ও সাময়িকপত্র]]
### [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ#মিশনারিদের রচনার বৈশিষ্ট্য|মিশনারিদের রচনার বৈশিষ্ট্য]]
## [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ#ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ|ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ]]
### [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ#ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের প্রতিষ্ঠা|ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের প্রতিষ্ঠা]]
### [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ#পণ্ডিত-মুন্সিদের রচনা|পণ্ডিত-মুন্সিদের রচনা]]
#### [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ#উইলিয়াম কেরি|উইলিয়াম কেরি]]
#### [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ#রামরাম বসু|রামরাম বসু]]
#### [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ#মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার|মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার]]
#### [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ#অন্যান্য লেখকবর্গ|অন্যান্য লেখকবর্গ]]
### [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ#পণ্ডিত-মুন্সিদের গদ্যের রচনার বৈশিষ্ট্য|পণ্ডিত-মুন্সিদের গদ্যের রচনার বৈশিষ্ট্য]]
## [[/শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ#মিশনারি ও কলেজের পণ্ডিত-মুন্সিদের গদ্যচর্চার তুলনা|মিশনারি ও কলেজের পণ্ডিত-মুন্সিদের গদ্যচর্চার তুলনা]]
# [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র|উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র]]
## [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#সংবাদপত্রের সূচনা|সংবাদপত্রের সূচনা]]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#দিগ্দর্শন|দিগ্দর্শন]]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#সমাচার-দর্পণ|সমাচার-দর্পণ]]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#গঙ্গাকিশোর ভট্টাচার্যের বেঙ্গল গেজেট|গঙ্গাকিশোর ভট্টাচার্যের ''বেঙ্গল গেজেট'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#সম্বাদ কৌমুদী|''সম্বাদ কৌমুদী'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#সমাচার-চন্দ্রিকা|''সমাচার-চন্দ্রিকা'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#সংবাদ প্রভাকর|''সংবাদ প্রভাকর'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা|''তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#উনিশ শতকের প্রথমার্ধের অন্যান্য পত্রপত্রিকা|উনিশ শতকের প্রথমার্ধের অন্যান্য পত্রপত্রিকা]]
## [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#উনিশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধের পত্রপত্রিকা|উনিশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধের পত্রপত্রিকা]]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#বিবিধার্থ সংগ্রহ|''বিবিধার্থ সংগ্রহ'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#মাসিক পত্রিকা|''মাসিক পত্রিকা'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#এডুকেশন গেজেট|''এডুকেশন গেজেট'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#সোমপ্রকাশ|''সোমপ্রকাশ'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#রহস্য-সন্দর্ভ|''রহস্য-সন্দর্ভ'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#অবোধবন্ধু|''অবোধবন্ধু'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#বঙ্গদর্শন|''বঙ্গদর্শন'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#প্রচার|''প্রচার'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#নবজীবন|''নবজীবন'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#ভারতী|''ভারতী'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#বালক|''বালক'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#সাধনা|''সাধনা'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#বঙ্গবাসী|''বঙ্গবাসী'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#হিতবাদী|''হিতবাদী'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#জন্মভূমি|''জন্মভূমি'']]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#বামাবোধিনী|''বামাবোধিনী'']]
## [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#পত্রিকাকেন্দ্রিক লেখকগোষ্ঠী|পত্রিকাকেন্দ্রিক লেখকগোষ্ঠী]]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#তত্ত্ববোধিনী গোষ্ঠী|তত্ত্ববোধিনী গোষ্ঠী]]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#বঙ্গদর্শন গোষ্ঠী|বঙ্গদর্শন গোষ্ঠী]]
### [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#ভারতী ও সাধনা গোষ্ঠী|ভারতী ও সাধনা গোষ্ঠী]]
## [[/উনিশ শতকের সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র#অবদান|অবদান]]
# [[/রাজা রামমোহন রায়|রাজা রামমোহন রায়]]
## [[/রাজা রামমোহন রায়#রামমোহন রায়ের রচনাবলি|রামমোহন রায়ের রচনাবলি]]
## [[/রাজা রামমোহন রায়#রামমোহন রায়ের গদ্যরীতি|রামমোহন রায়ের গদ্যরীতি]]
## [[/রাজা রামমোহন রায়#গদ্যশিল্পে রামমোহন রায়ের প্রভাব|গদ্যশিল্পে রামমোহন রায়ের প্রভাব]]
# [[/অক্ষয়কুমার দত্ত|অক্ষয়কুমার দত্ত]]
# [[/ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর|ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর]]
## [[/ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর#অনুবাদ সাহিত্য|অনুবাদ সাহিত্য]]
## [[/ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর#মৌলিক রচনা|মৌলিক রচনা]]
## [[/ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর#বিদ্যাসাগরের গদ্যরীতির বৈশিষ্ট্য|বিদ্যাসাগরের গদ্যরীতির বৈশিষ্ট্য]]
## [[/ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর#‘বাংলা গদ্যের জনক’|‘বাংলা গদ্যের জনক’]]
# [[/দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর|দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর]]
# [[/ভূদেব মুখোপাধ্যায়|ভূদেব মুখোপাধ্যায়]]
# [[/রাজনারায়ণ বসু|রাজনারায়ণ বসু]]
# [[/বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রবন্ধসাহিত্য|বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রবন্ধসাহিত্য]]
## [[/বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রবন্ধসাহিত্য#বঙ্কিমচন্দ্রের প্রবন্ধসাহিত্যে বৈচিত্র্য|বৈচিত্র্য]]
## [[/বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রবন্ধসাহিত্য#জ্ঞানচর্চামূলক প্রবন্ধ|জ্ঞানচর্চামূলক প্রবন্ধ]]
## [[/বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রবন্ধসাহিত্য#বিচারমূলক প্রবন্ধ|বিচারমূলক প্রবন্ধ]]
## [[/বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রবন্ধসাহিত্য#রসব্যঞ্জনামূলক প্রবন্ধ|রসব্যঞ্জনামূলক প্রবন্ধ]]
## [[/বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রবন্ধসাহিত্য#প্রবন্ধসাহিত্যে বঙ্কিমচন্দ্রের অবদান|অবদান]]
# [[/বঙ্কিম-সমকালীন প্রাবন্ধিক গোষ্ঠী|বঙ্কিম-সমকালীন প্রাবন্ধিক গোষ্ঠী]]
# [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক বাংলা প্রবন্ধসাহিত্য|রবীন্দ্র-সমসাময়িক প্রবন্ধসাহিত্য]]
## [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক বাংলা প্রবন্ধসাহিত্য#বলেন্দ্রনাথ ঠাকুর|বলেন্দ্রনাথ ঠাকুর]]
## [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক বাংলা প্রবন্ধসাহিত্য#অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর|অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর]]
## [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক বাংলা প্রবন্ধসাহিত্য#রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদী|রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদী]]
## [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক বাংলা প্রবন্ধসাহিত্য#প্রমথ চৌধুরী|প্রমথ চৌধুরী]]
## [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক বাংলা প্রবন্ধসাহিত্য#পাঁচকড়ি বন্দ্যোপাধ্যায়|পাঁচকড়ি বন্দ্যোপাধ্যায়]]
## [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক বাংলা প্রবন্ধসাহিত্য#মোহিতলাল মজুমদার|মোহিতলাল মজুমদার]]
## [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক বাংলা প্রবন্ধসাহিত্য#রবীন্দ্র-পরবর্তীকালের বাংলা প্রবন্ধসাহিত্য|রবীন্দ্র-পরবর্তীকালের বাংলা প্রবন্ধসাহিত্য]]
===পরিশিষ্ট: বাংলা গদ্যসাহিত্য===
# [[/রামমোহন, বিদ্যাসাগর ও অক্ষয়কুমারের অবদান|রামমোহন, বিদ্যাসাগর ও অক্ষয়কুমারের অবদান]]
# [[/বাংলা গদ্যে আলালী ও বিদ্যাসাগরী রীতির বিবর্তন|বাংলা গদ্যে আলালী ও বিদ্যাসাগরী রীতির বিবর্তন]]
# [[/বাংলা গদ্যে চলিত রীতির বিবর্তন|বাংলা গদ্যে চলিত রীতি বিবর্তন]]
# [[/ভূদেব মুখোপাধ্যায় ও বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়|ভূদেব মুখোপাধ্যায় ও বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়]]
=== পর্ব ২: বাংলা উপন্যাস ও ছোটোগল্প ===
# [[/উপন্যাসের সূত্রপাত|বাংলা সাহিত্যে উপন্যাসের সূত্রপাত]]
## [[/উপন্যাসের সূত্রপাত#উপন্যাসের সূত্রপাত|উপন্যাসের সূত্রপাত]]
## [[/উপন্যাসের সূত্রপাত#উপন্যাস রচনার প্রথম প্রচেষ্টা|উপন্যাস রচনার প্রথম প্রচেষ্টা]]
## [[/উপন্যাসের সূত্রপাত#হানা ক্যাথারিন মুলেন্সের ফুলমণি ও করুণার বৃত্তান্ত|হানা ক্যাথারিন মুলেন্সের ''ফুলমণি ও করুণার বৃত্তান্ত'']]
## [[/উপন্যাসের সূত্রপাত#প্যারীচাঁদ মিত্রের আলালের ঘরের দুলাল|প্যারীচাঁদ মিত্রের ''আলালের ঘরের দুলাল'']]
## [[/উপন্যাসের সূত্রপাত#কালীপ্রসন্ন সিংহের হুতোম প্যাঁচার নক্সা|কালীপ্রসন্ন সিংহের ''হুতোম প্যাঁচার নক্সা'']]
## [[/উপন্যাসের সূত্রপাত#রোম্যান্স রচনার সূত্রপাত|রোম্যান্স রচনার সূত্রপাত: ভূদেব মুখোপাধ্যায়, কৃষ্ণকমল ভট্টাচার্য ও গোপীমোহন ঘোষ]]
## [[/উপন্যাসের সূত্রপাত#সূচনা পর্বের উপন্যাসের সাহিত্যমূল্য|সূচনা পর্বের উপন্যাসের সাহিত্যমূল্য]]
# [[/বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের উপন্যাস|বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের উপন্যাস]]
# [[/বঙ্কিম-সমকালীন ঔপন্যাসিক গোষ্ঠী|বঙ্কিম-সমকালীন ঔপন্যাসিক গোষ্ঠী]]
## [[/বঙ্কিম-সমকালীন ঔপন্যাসিক গোষ্ঠী#রমেশচন্দ্র দত্ত|রমেশচন্দ্র দত্ত]]
## [[/বঙ্কিম-সমকালীন ঔপন্যাসিক গোষ্ঠী#সঞ্জীবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়|সঞ্জীবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়]]
## [[/বঙ্কিম-সমকালীন ঔপন্যাসিক গোষ্ঠী#তারকনাথ গঙ্গোপাধ্যায়|তারকনাথ গঙ্গোপাধ্যায়]]
## [[/বঙ্কিম-সমকালীন ঔপন্যাসিক গোষ্ঠী#প্রতাপচন্দ্র ঘোষ|প্রতাপচন্দ্র ঘোষ]]
## [[/বঙ্কিম-সমকালীন ঔপন্যাসিক গোষ্ঠী#স্বর্ণকুমারী দেবী|স্বর্ণকুমারী দেবী]]
## [[/বঙ্কিম-সমকালীন ঔপন্যাসিক গোষ্ঠী#বঙ্কিমযুগের অন্যান্য ঔপন্যাসিক|বঙ্কিমযুগের অন্যান্য ঔপন্যাসিক]]
# [[/বিশ শতকের বাংলা উপন্যাস|বিশ শতকের বাংলা উপন্যাস]]
# [[/প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়ের উপন্যাস|প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়ের উপন্যাস]]
# [[/শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের উপন্যাস|শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের উপন্যাস]]
# [[/শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ছোটোগল্প|শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ছোটোগল্প]]
# [[/বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়|বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়]]
# [[/তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়|তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়]]
# [[/মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়|মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়]]
# [[/বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায়|বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায়]]
# [[/দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী যুগের ছোটোগল্প ও উপন্যাস|দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী যুগের ছোটোগল্প ও উপন্যাস]]
## [[/দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী যুগের ছোটোগল্প ও উপন্যাস#হৃদয়বৃত্তিমূলক কথাসাহিত্য|হৃদয়বৃত্তিমূলক কথাসাহিত্য]]
## [[/দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী যুগের ছোটোগল্প ও উপন্যাস#চিন্তামূলক মননশীল কথাসাহিত্য|চিন্তামূলক মননশীল কথাসাহিত্য]]
## [[/দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী যুগের ছোটোগল্প ও উপন্যাস#বিকৃত-চিন্তামূলক বিদ্রোহাত্মক কথাসাহিত্য|বিকৃত-চিন্তামূলক বিদ্রোহাত্মক কথাসাহিত্য]]
## [[/দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী যুগের ছোটোগল্প ও উপন্যাস#বাস্তববুদ্ধিমূলক মানবিক কথাসাহিত্য|বাস্তববুদ্ধিমূলক মানবিক কথাসাহিত্য]]
## [[/দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী যুগের ছোটোগল্প ও উপন্যাস#কৌতুকরসাত্মক কথাসাহিত্য|কৌতুকরসাত্মক কথাসাহিত্য]]
=== পর্ব ৩: বাংলা নাটক ===
# [[/আধুনিক বাংলা নাটকের উদ্ভব|আধুনিক বাংলা নাটকের উদ্ভব]]
## [[/আধুনিক বাংলা নাটকের উদ্ভব#যাত্রার আদিরূপ|যাত্রার আদিরূপ]]
## [[/আধুনিক বাংলা নাটকের উদ্ভব#মধ্যযুগে নাট্যরস পরিবেশনের প্রয়াস|মধ্যযুগে নাট্যরস পরিবেশনের প্রয়াস]]
## [[/আধুনিক বাংলা নাটকের উদ্ভব#যাত্রা|যাত্রা]]
## [[/আধুনিক বাংলা নাটকের উদ্ভব#নতুন যাত্রাপদ্ধতি ও গীতাভিনয়|নতুন যাত্রাপদ্ধতি ও গীতাভিনয়]]
## [[/আধুনিক বাংলা নাটকের উদ্ভব#যাত্রাপালা এবং মির্যাকল প্লে ও মর্যালিটি প্লে|যাত্রাপালা এবং মির্যাকল প্লে ও মর্যালিটি প্লে]]
## [[/আধুনিক বাংলা নাটকের উদ্ভব#ইংরেজি নাট্যশালার আদর্শ ও বাংলা নাটক|ইংরেজি নাট্যশালার আদর্শ ও বাংলা নাটক]]
# [[/সাধারণ নাট্যশালা প্রতিষ্ঠার পূর্ববর্তী নাট্যশালা|সাধারণ নাট্যশালা প্রতিষ্ঠার পূর্ববর্তী নাট্যশালা]]
## [[/সাধারণ নাট্যশালা প্রতিষ্ঠার পূর্ববর্তী নাট্যশালা#প্লে হাউস ও অন্যান্য ইংরেজি নাট্যশালা|প্লে হাউস ও অন্যান্য ইংরেজি নাট্যশালা]]
## [[/সাধারণ নাট্যশালা প্রতিষ্ঠার পূর্ববর্তী নাট্যশালা#গেরাসিম লেবেদেভ ও বেঙ্গলি থিয়েটার|গেরাসিম লেবেদেভ ও বেঙ্গলি থিয়েটার]]
## [[/সাধারণ নাট্যশালা প্রতিষ্ঠার পূর্ববর্তী নাট্যশালা#হিন্দু থিয়েটার ও নবীন বসুর বাড়ির নাট্যশালা|হিন্দু থিয়েটার ও নবীন বসুর বাড়ির নাট্যশালা]]
## [[/সাধারণ নাট্যশালা প্রতিষ্ঠার পূর্ববর্তী নাট্যশালা#ওরিয়েন্টাল থিয়েটার|ওরিয়েন্টাল থিয়েটার]]
## [[/সাধারণ নাট্যশালা প্রতিষ্ঠার পূর্ববর্তী নাট্যশালা#সংস্কৃত নাটকের বঙ্গানুবাদ ও প্রথম মৌলিক বাংলা নাটকের অভিনয়|সংস্কৃত নাটকের বঙ্গানুবাদ ও প্রথম মৌলিক বাংলা নাটকের অভিনয়]]
## [[/সাধারণ নাট্যশালা প্রতিষ্ঠার পূর্ববর্তী নাট্যশালা#বেলগাছিয়া থিয়েটার ও মাইকেল মধুসূদন দত্ত|বেলগাছিয়া থিয়েটার ও মাইকেল মধুসূদন দত্ত]]
## [[/সাধারণ নাট্যশালা প্রতিষ্ঠার পূর্ববর্তী নাট্যশালা#ন্যাশনাল থিয়েটার: বাংলার প্রথম সাধারণ নাট্যশালা|ন্যাশনাল থিয়েটার: বাংলার প্রথম সাধারণ নাট্যশালা]]
# [[/আদি পর্বের অনুবাদ ও মৌলিক নাটক|আদি পর্বের অনুবাদ ও মৌলিক নাটক]]
## [[/আদি পর্বের অনুবাদ ও মৌলিক নাটক#ইংরেজি ও সংস্কৃত নাটকের অনুবাদ|ইংরেজি ও সংস্কৃত নাটকের অনুবাদ]]
### [[/আদি পর্বের অনুবাদ ও মৌলিক নাটক#ইংরেজি নাটকের অনুবাদ|ইংরেজি নাটকের অনুবাদ]]
### [[/আদি পর্বের অনুবাদ ও মৌলিক নাটক#সংস্কৃত নাটকের অনুবাদ|সংস্কৃত নাটকের অনুবাদ]]
## [[/আদি পর্বের অনুবাদ ও মৌলিক নাটক#মৌলিক নাটক|মৌলিক নাটক]]
### [[/আদি পর্বের অনুবাদ ও মৌলিক নাটক#যোগেন্দ্রচন্দ্র গুপ্ত|যোগেন্দ্রচন্দ্র গুপ্ত]]
### [[/আদি পর্বের অনুবাদ ও মৌলিক নাটক#তারাচরণ শিকদার|তারাচরণ শিকদার]]
### [[/আদি পর্বের অনুবাদ ও মৌলিক নাটক#হরচন্দ্র ঘোষ|হরচন্দ্র ঘোষ]]
### [[/আদি পর্বের অনুবাদ ও মৌলিক নাটক#কালীপ্রসন্ন সিংহ|কালীপ্রসন্ন সিংহ]]
# [[/রামনারায়ণ তর্করত্ন|রামনারায়ণ তর্করত্ন]]
## [[/রামনারায়ণ তর্করত্ন#কুলীনকুলসর্বস্ব|''কুলীনকুলসর্বস্ব'']]
## [[/রামনারায়ণ তর্করত্ন#অন্যান্য নাটক|অন্যান্য নাটক]]
## [[/রামনারায়ণ তর্করত্ন#মূল্যায়ন|মূল্যায়ন]]
# [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের নাট্যসাহিত্য|মাইকেল মধুসূদন দত্ত]]
## [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের নাট্যসাহিত্য#প্রাক্-মধুসূদন যুগের বাংলা নাটক ও মধুসূদন|প্রাক্-মধুসূদন যুগের বাংলা নাটক ও মধুসূদন]]
## [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের নাট্যসাহিত্য#পৌরাণিক নাটক|পৌরাণিক নাটক]]
### [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের নাট্যসাহিত্য#''শর্মিষ্ঠা''|''শর্মিষ্ঠা'']]
### [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের নাট্যসাহিত্য#''পদ্মাবতী''|''পদ্মাবতী'']]
## [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের নাট্যসাহিত্য#ঐতিহাসিক নাটক: ট্র্যাজেডি|ঐতিহাসিক নাটক: ট্র্যাজেডি]]
### [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের নাট্যসাহিত্য#''কৃষ্ণকুমারী''|''কৃষ্ণকুমারী'']]
## [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের নাট্যসাহিত্য#প্রহসন|প্রহসন: ''একেই কি বলে সভ্যতা'' ও ''বুড়ো শালিকের ঘাড়ে রোঁ'']]
## [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের নাট্যসাহিত্য#প্রহসন|অন্যান্য নাটক: ''মায়াকানন'' ও ''বিষ না ধনুর্গুণ'']]
## [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের নাট্যসাহিত্য#বাংলা নাটকের ইতিহাসে মাইকেল মধুসূদন দত্তের স্থান|বাংলা নাটকের ইতিহাসে মাইকেল মধুসূদন দত্তের স্থান]]
# [[/দীনবন্ধু মিত্র|দীনবন্ধু মিত্র]]
## [[/দীনবন্ধু মিত্র#সামাজিক নাটক|সামাজিক নাটক]]
### [[/দীনবন্ধু মিত্র#নীলদর্পণ|''নীলদর্পণ'']]
#### [[/দীনবন্ধু মিত্র#নীল বিদ্রোহ ও নীলদর্পণ নাটক|নীল বিদ্রোহ ও ''নীলদর্পণ'' নাটক]]
#### [[/দীনবন্ধু মিত্র#নীলদর্পণ নাটকের সংক্ষিপ্ত কাহিনি|''নীলদর্পণ'' নাটকের সংক্ষিপ্ত কাহিনি]]
#### [[/দীনবন্ধু মিত্র#সমালোচনা|সমালোচনা]]
## [[/দীনবন্ধু মিত্র#অন্যান্য নাটক|অন্যান্য নাটক]]
### [[/দীনবন্ধু মিত্র#প্রহসন|প্রহসন]]
#### [[/দীনবন্ধু মিত্র#সধবার একাদশী ও নিমচাঁদ চরিত্র|''সধবার একাদশী'' ও নিমচাঁদ চরিত্র]]
## [[/দীনবন্ধু মিত্র#বাংলা নাট্যসাহিত্যে দীনবন্ধু মিত্রের অবদান|বাংলা নাট্যসাহিত্যে দীনবন্ধু মিত্রের অবদান]]
# [[/মনোমোহন বসু|মনোমোহন বসু]]
# [[/জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর|জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর]]
## [[/জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর#জ্যোতিরিন্দ্রনাথের ঐতিহাসিক নাটক|ঐতিহাসিক নাটক]]
## [[/জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর#জ্যোতিরিন্দ্রনাথের প্রহসন|প্রহসন]]
## [[/জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর#জ্যোতিরিন্দ্রনাথের অনুবাদ নাটক|অনুবাদ নাটক]]
# [[/উপেন্দ্রনাথ দাস|উপেন্দ্রনাথ দাস]]
# [[/রাজকৃষ্ণ রায়|রাজকৃষ্ণ রায়]]
# [[/গিরিশচন্দ্র ঘোষ|গিরিশচন্দ্র ঘোষ]]
# [[/অমৃতলাল বসু|অমৃতলাল বসু]]
# [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়|দ্বিজেন্দ্রলাল রায়]]
## [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#প্রহসন|প্রহসন]]
### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#কল্কি অবতার|''কল্কি অবতার'']]
### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#বিরহ|''বিরহ'']]
### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#ত্র্যহস্পর্শ|''ত্র্যহস্পর্শ'']]
### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#প্রায়শ্চিত্ত|''প্রায়শ্চিত্ত'']]
### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#পুনর্জন্ম|''পুনর্জন্ম'']]
### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#আনন্দবিদায়|''আনন্দবিদায়'']]
## [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#পৌরাণিক নাটক|পৌরাণিক নাটক]]
### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#পাষাণী|''পাষাণী'']]
### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#সীতা|''সীতা'']]
### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#ভীষ্ম|''ভীষ্ম'']]
## [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#সামাজিক নাটক|সামাজিক নাটক]]
### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#পরপারে|''পরপারে'']]
### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#বঙ্গনারী|''বঙ্গনারী'']]
## [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#অপেরা|অপেরা]]
### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#সোরাব-রুস্তম|''সোরাব-রুস্তম'']]
## [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#ঐতিহাসিক নাটক|ঐতিহাসিক নাটক]]
### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#রাজপুত ইতিহাস-নির্ভর ঐতিহাসিক নাটক|রাজপুত ইতিহাস-নির্ভর ঐতিহাসিক নাটক]]
#### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#তারাবাঈ|''তারাবাঈ'']]
#### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#রাণা প্রতাপ সিংহ|''রাণা প্রতাপ সিংহ'']]
#### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#দুর্গাদাস|''দুর্গাদাস'']]
#### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#মেবার পতন|''মেবার পতন'']]
### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#অন্যান্য ঐতিহাসিক নাটক|অন্যান্য ঐতিহাসিক নাটক]]
#### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#নূরজাহান|''নূরজাহান'']]
#### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#সাজাহান|''সাজাহান'']]
#### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#চন্দ্রগুপ্ত|''চন্দ্রগুপ্ত'']]
#### [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#সিংহল বিজয়|''সিংহল বিজয়'']]
## [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#দ্বিজেন্দ্রলালের নাটকে সংলাপের ভাষা|দ্বিজেন্দ্রলালের নাটকে সংলাপের ভাষা]]
## [[/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়#মূল্যায়ন|মূল্যায়ন]]
# [[/ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ|ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ]]
## [[/ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ#অপেরা বা গীতিমুখর নাটক|অপেরা বা গীতিমুখর নাটক]]
## [[/ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ#পৌরাণিক নাটক|পৌরাণিক নাটক]]
## [[/ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ#কাল্পনিক নাটক|কাল্পনিক নাটক]]
## [[/ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ#অপেরা বা গীতিমুখর নাটক|অপেরা বা গীতিমুখর নাটক]]
## [[/ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ#ঐতিহাসিক নাটক|ঐতিহাসিক নাটক]]
## [[/ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ#মূল্যায়ন|মূল্যায়ন]]
# [[/বিশ শতকের বাংলা নাটক|বিশ শতকের বাংলা নাটক]]
## [[/বিশ শতকের বাংলা নাটক#অপরেশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়|অপরেশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়]]
## [[/বিশ শতকের বাংলা নাটক#গতানুগতিক ধারার নাট্যকারগণ|গতানুগতিক ধারার নাট্যকারগণ]]
## [[/বিশ শতকের বাংলা নাটক#যোগেশচন্দ্র চৌধুরী|যোগেশচন্দ্র চৌধুরী]]
## [[/বিশ শতকের বাংলা নাটক#মন্মথ রায়|মন্মথ রায়]]
## [[/বিশ শতকের বাংলা নাটক#শচীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত|শচীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত]]
## [[/বিশ শতকের বাংলা নাটক#বিধায়ক ভট্টাচার্য|বিধায়ক ভট্টাচার্য]]
## [[/বিশ শতকের বাংলা নাটক#প্রমথনাথ বিশী|প্রমথনাথ বিশী]]
## [[/বিশ শতকের বাংলা নাটক#জীবনী নাটক|জীবনী নাটক]]
## [[/বিশ শতকের বাংলা নাটক#নবনাট্য আন্দোলন|নবনাট্য আন্দোলন]]
## [[/বিশ শতকের বাংলা নাটক#বিদেশি নাটকের বঙ্গীকরণ|বিদেশি নাটকের বঙ্গীকরণ]]
# [[/পৌরাণিক নাটক|বাংলা পৌরাণিক নাটকের বিকাশ]]
## [[/পৌরাণিক নাটক#প্রথম পর্বের বাংলা পৌরাণিক নাটক|প্রথম পর্ব: হরচন্দ্র ঘোষ, কালীপ্রসন্ন সিংহ, মাইকেল মধুসূদন দত্ত ও রামনারায়ণ তর্করত্ন]]
## [[/পৌরাণিক নাটক#দ্বিতীয় পর্বের বাংলা পৌরাণিক নাটক|দ্বিতীয় পর্ব: মনোমোহন বসু, রাজকৃষ্ণ রায়, অতুলকৃষ্ণ মিত্র ও গিরিশচন্দ্র ঘোষ]]
## [[/পৌরাণিক নাটক#তৃতীয় পর্বের বাংলা পৌরাণিক নাটক|তৃতীয় পর্ব: দ্বিজেন্দ্রলাল রায়, ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ, অপরেশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়, ভূপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, যোগেশচন্দ্র চৌধুরী, মন্মথ রায় ও মহেন্দ্র গুপ্ত]]
## [[/পৌরাণিক নাটক#বাংলা পৌরাণিক নাটকের পরিণতি|পরিণতি]]
# [[/ঐতিহাসিক নাটক|বাংলা ঐতিহাসিক নাটকের বিকাশ]]
## [[/ঐতিহাসিক নাটক#প্রথম পর্ব: মাইকেল মধুসূদন দত্ত|প্রথম পর্ব: মাইকেল মধুসূদন দত্ত]]
## [[/ঐতিহাসিক নাটক#দ্বিতীয় পর্ব: জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর, ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ, দ্বিজেন্দ্রলাল রায়, গিরিশচন্দ্র ঘোষ ও অন্যান্য নাট্যকার|দ্বিতীয় পর্ব: জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর, ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ, দ্বিজেন্দ্রলাল রায়, গিরিশচন্দ্র ঘোষ ও অন্যান্য নাট্যকার]]
## [[/ঐতিহাসিক নাটক#তৃতীয় পর্ব: যোগেশচন্দ্র চৌধুরী ও অন্যান্য নাট্যকার|তৃতীয় পর্ব: যোগেশচন্দ্র চৌধুরী ও অন্যান্য নাট্যকার]]
# [[/সামাজিক ও পারিবারিক নাটক|বাংলা সামাজিক ও পারিবারিক নাটকের বিকাশ]]
## [[/সামাজিক ও পারিবারিক নাটক#প্রথম পর্বের সামাজিক নাটক|প্রথম পর্বের সামাজিক নাটক: রামনারায়ণ তর্করত্ন, উমেশচন্দ্র মিত্র, দীনবন্ধু মিত্র ও অন্যান্য]]
## [[/সামাজিক ও পারিবারিক নাটক#দ্বিতীয় পর্বের সামাজিক ও পারিবারিক নাটক|দ্বিতীয় পর্বের সামাজিক ও পারিবারিক নাটক: উপেন্দ্রনাথ দাস, গিরিশচন্দ্র ঘোষ, দ্বিজেন্দ্রলাল রায় ও অন্যান্য]]
## [[/সামাজিক ও পারিবারিক নাটক#তৃতীয় পর্বের পারিবারিক নাটক|তৃতীয় পর্বের পারিবারিক নাটক: শচীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত, জলধর চট্টোপাধ্যায়, মহেন্দ্র গুপ্ত ও বিধায়ক ভট্টাচার্য]]
## [[/সামাজিক ও পারিবারিক নাটক#চতুর্থ পর্বের আধুনিক সমাজ-সচেতন নাটক|চতুর্থ পর্বের আধুনিক সমাজ-সচেতন নাটক: বিজন ভট্টাচার্য, তুলসী লাহিড়ী, সলিল সেন ও অন্যান্য]]
# [[/প্রহসন|বাংলা প্রহসনের বিকাশ]]
## [[/প্রহসন#প্রথম পর্বের প্রহসন: রামনারায়ণ তর্করত্ন, কালীপ্রসন্ন সিংহ, মাইকেল মধুসূদন দত্ত, দীনবন্ধু মিত্র ও জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর|প্রথম পর্বের প্রহসন: রামনারায়ণ তর্করত্ন, কালীপ্রসন্ন সিংহ, মাইকেল মধুসূদন দত্ত, দীনবন্ধু মিত্র ও জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর]]
## [[/প্রহসন#দ্বিতীয় পর্বের প্রহসন: গিরিশচন্দ্র ঘোষ, অমৃতলাল বসু, দ্বিজেন্দ্রলাল রায়, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর|দ্বিতীয় পর্বের প্রহসন: গিরিশচন্দ্র ঘোষ, অমৃতলাল বসু, দ্বিজেন্দ্রলাল রায়, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর]]
## [[/প্রহসন#তৃতীয় পর্বের প্রহসন: রবীন্দ্রনাথ মৈত্র, প্রমথনাথ বিশী, বিধায়ক ভট্টাচার্য প্রমুখ|তৃতীয় পর্বের প্রহসন: রবীন্দ্রনাথ মৈত্র, প্রমথনাথ বিশী, বিধায়ক ভট্টাচার্য প্রমুখ]]
=== পর্ব ৪: আধুনিক বাংলা কাব্যসাহিত্য ===
# [[/কবিওয়ালা|কবিওয়ালা]]
# [[/ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত|ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত]]
# [[/মদনমোহন তর্কালঙ্কার|মদনমোহন তর্কালঙ্কার]]
# [[/উনিশ শতকের মহাকাব্য ও আখ্যানকাব্য|উনিশ শতকের বাংলা মহাকাব্য ও আখ্যানকাব্য]]
## [[/উনিশ শতকের মহাকাব্য ও আখ্যানকাব্য#আখ্যানকাব্যের বৈশিষ্ট্য|আখ্যানকাব্যের বৈশিষ্ট্য]]
## [[/উনিশ শতকের মহাকাব্য ও আখ্যানকাব্য#মহাকাব্যের বৈশিষ্ট্য|মহাকাব্যের বৈশিষ্ট্য]]
### [[/উনিশ শতকের মহাকাব্য ও আখ্যানকাব্য#মাইকেল মধুসূদন দত্তের মহাকাব্য|মাইকেল মধুসূদন দত্তের মহাকাব্য]]
### [[/উনিশ শতকের মহাকাব্য ও আখ্যানকাব্য#হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের মহাকাব্য ও আখ্যানকাব্য|হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের মহাকাব্য ও আখ্যানকাব্য]]
### [[/উনিশ শতকের মহাকাব্য ও আখ্যানকাব্য#নবীনচন্দ্র সেনের মহাকাব্য ও আখ্যানকাব্য|নবীনচন্দ্র সেনের মহাকাব্য ও আখ্যানকাব্য]]
## [[/উনিশ শতকের মহাকাব্য ও আখ্যানকাব্য#বাংলা মহাকাব্যের পরিণতি|বাংলা মহাকাব্যের পরিণতি]]
## [[/উনিশ শতকের মহাকাব্য ও আখ্যানকাব্য#বাংলা আখ্যানকাব্যের পরিণতি|বাংলা আখ্যানকাব্যের পরিণতি]]
# [[/রঙ্গলাল বন্দ্যোপাধ্যায়|রঙ্গলাল বন্দ্যোপাধ্যায়]]
# [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের কাব্যসাহিত্য|মাইকেল মধুসূদন দত্ত]]
## [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের কাব্যসাহিত্য#কাব্যসাহিত্য|কাব্যসাহিত্য]]
### [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের কাব্যসাহিত্য#তিলোত্তমাসম্ভব কাব্য|''তিলোত্তমাসম্ভব কাব্য'']]
### [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের কাব্যসাহিত্য#মেঘনাদবধ কাব্য|''মেঘনাদবধ কাব্য'']]
### [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের কাব্যসাহিত্য#ব্রজাঙ্গনা কাব্য|''ব্রজাঙ্গনা কাব্য'']]
### [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের কাব্যসাহিত্য#বীরাঙ্গনা কাব্য|''বীরাঙ্গনা কাব্য'']]
### [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের কাব্যসাহিত্য#চতুর্দশপদী কবিতাবলী|''চতুর্দশপদী কবিতাবলী'']]
## [[/মাইকেল মধুসূদন দত্তের কাব্যসাহিত্য#মূল্যায়ন|মূল্যায়ন]]
# [[/হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়|হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়]]
# [[/নবীনচন্দ্র সেন|নবীনচন্দ্র সেন]]
# [[/বিহারীলাল চক্রবর্তী|বিহারীলাল চক্রবর্তী]]
## [[/বিহারীলাল চক্রবর্তী#রচনাবলি|রচনাবলি]]
## [[/বিহারীলাল চক্রবর্তী#কবিপ্রতিভার বৈশিষ্ট্য|কবিপ্রতিভার বৈশিষ্ট্য]]
## [[/বিহারীলাল চক্রবর্তী#শৈল্পিক ত্রুটি|শৈল্পিক ত্রুটি]]
## [[/বিহারীলাল চক্রবর্তী#বিশুদ্ধ গীতিকবিতার জনক বিহারীলাল|বিশুদ্ধ গীতিকবিতার জনক বিহারীলাল]]
# [[/আখ্যানকাব্য ও গীতিকাব্যের ধারা ও পরিণাম|বাংলা আখ্যানকাব্য ও গীতিকাব্যের ধারা ও পরিণাম]]
# [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক কবিগণ|রবীন্দ্র-সমসাময়িক কবিগণ]]
## [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক কবিগণ#রবীন্দ্র-পরিমণ্ডলের অন্তর্ভুক্ত কবিগণ|রবীন্দ্র-পরিমণ্ডলের অন্তর্ভুক্ত কবিগণ]]
## [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক কবিগণ#রবীন্দ্র-প্রভাবিক কবিগোষ্ঠী|রবীন্দ্র-প্রভাবিক কবিগোষ্ঠী]]
### [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক কবিগণ#দ্বিজেন্দ্রলাল রায়|দ্বিজেন্দ্রলাল রায়]]
### [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক কবিগণ#সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত|সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত]]
### [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক কবিগণ#করুণানিধন বন্দ্যোপাধ্যায়|করুণানিধন বন্দ্যোপাধ্যায়]]
### [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক কবিগণ#যতীন্দ্রমোহন বাগচি|যতীন্দ্রমোহন বাগচি]]
### [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক কবিগণ#কুমুদরঞ্জন মল্লিক, কালিদাস রায় ও কিরণধন চট্টোপাধ্যায়|কুমুদরঞ্জন মল্লিক, কালিদাস রায় ও কিরণধন চট্টোপাধ্যায়]]
## [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক কবিগণ#রবীন্দ্রবিরোধী কবিগোষ্ঠী|রবীন্দ্রবিরোধী কবিগোষ্ঠী]]
### [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক কবিগণ#মোহিতলাল মজুমদার|মোহিতলাল মজুমদার]]
### [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক কবিগণ#যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত|যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত]]
### [[/রবীন্দ্র-সমসাময়িক কবিগণ#কাজী নজরুল ইসলাম|কাজী নজরুল ইসলাম]]
# [[/উনিশ শতকের মহিলা কবিগণ|উনিশ শতকের মহিলা কবিগণ]]
## [[/উনিশ শতকের মহিলা কবিগণ#মোক্ষদায়িনী মুখোপাধ্যায়|মোক্ষদায়িনী মুখোপাধ্যায়]]
## [[/উনিশ শতকের মহিলা কবিগণ#স্বর্ণকুমারী দেবী|স্বর্ণকুমারী দেবী]]
## [[/উনিশ শতকের মহিলা কবিগণ#গিরীন্দ্রমোহিনী দাসী|গিরীন্দ্রমোহিনী দাসী]]
## [[/উনিশ শতকের মহিলা কবিগণ#মানকুমারী বসু|মানকুমারী বসু]]
## [[/উনিশ শতকের মহিলা কবিগণ#কামিনী রায়|কামিনী রায়]]
## [[/উনিশ শতকের মহিলা কবিগণ#সরোজকুমারী দেবী|সরোজকুমারী দেবী]]
## [[/উনিশ শতকের মহিলা কবিগণ#অন্যান্য মহিলা কবিগণ|অন্যান্য মহিলা কবিগণ]]
# [[/রবীন্দ্র-পরবর্তী বাংলা কবিতা|রবীন্দ্র-পরবর্তী বাংলা কবিতা]]
## [[/রবীন্দ্র-পরবর্তী বাংলা কবিতা#বুদ্ধদেব বসু|বুদ্ধদেব বসু]]
## [[/রবীন্দ্র-পরবর্তী বাংলা কবিতা#জীবনানন্দ দাশ|জীবনানন্দ দাশ]]
## [[/রবীন্দ্র-পরবর্তী বাংলা কবিতা#অজিত দত্ত|অজিত দত্ত]]
## [[/রবীন্দ্র-পরবর্তী বাংলা কবিতা#সুধীন্দ্রনাথ দত্ত|সুধীন্দ্রনাথ দত্ত]]
## [[/রবীন্দ্র-পরবর্তী বাংলা কবিতা#বিষ্ণু দে|বিষ্ণু দে]]
## [[/রবীন্দ্র-পরবর্তী বাংলা কবিতা#প্রেমেন্দ্র মিত্র|প্রেমেন্দ্র মিত্র]]
## [[/রবীন্দ্র-পরবর্তী বাংলা কবিতা#অমিয় চক্রবর্তী|অমিয় চক্রবর্তী]]
## [[/রবীন্দ্র-পরবর্তী বাংলা কবিতা#সমর সেন|সমর সেন]]
## [[/রবীন্দ্র-পরবর্তী বাংলা কবিতা#সুকান্ত ভট্টাচার্য|সুকান্ত ভট্টাচার্য]]
## [[/রবীন্দ্র-পরবর্তী বাংলা কবিতা#অন্যান্য কবিগণ|অন্যান্য কবিগণ]]
=== পর্ব ৫: রবীন্দ্রসাহিত্য ===
# [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতা|কবিতা]]
# [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক|নাটক]]
## [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#রবীন্দ্রনাথের গীতিনাট্য: বাল্মীকিপ্রতিভা, কালমৃগয়া ও মায়ার খেলা|রবীন্দ্রনাথের গীতিনাট্য: ''বাল্মীকিপ্রতিভা'', ''কালমৃগয়া'' ও ''মায়ার খেলা'']]
## [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#রবীন্দ্রনাথের কাব্যনাট্য|কাব্যনাট্য]]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#প্রকৃতির প্রতিশোধ|''প্রকৃতির প্রতিশোধ'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#চিত্রাঙ্গদা|''চিত্রাঙ্গদা'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#বিদায় অভিশাপ|''বিদায় অভিশাপ'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#কাহিনী গ্রন্থের কাব্যনাট্যসমূহ|''কাহিনী'' গ্রন্থের কাব্যনাট্যসমূহ: "গান্ধারীর আবেদন", "সতী", "নরকবাস", "লক্ষ্মীর পরীক্ষা" ও "কর্ণকুন্তীসংবাদ"]]
## [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#রবীন্দ্রনাথের প্রথানুগ নাটক|প্রথানুগ নাটক]]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#রাজা ও রানী ও তপতী|''রাজা ও রানী'' ও ''তপতী'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#বিসর্জন|''বিসর্জন'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#মালিনী|''মালিনী'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#প্রায়শ্চিত্ত ও পরিত্রাণ|''প্রায়শ্চিত্ত'' ও ''পরিত্রাণ'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#রবীন্দ্রনাথের পারিবারিক নাটক: গৃহপ্রবেশ ও শোধবোধ|রবীন্দ্রনাথের পারিবারিক নাটক: ''গৃহপ্রবেশ'' ও ''শোধবোধ'']]
## [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#রবীন্দ্রনাথের প্রহসন বা কৌতুকনাট্য|প্রহসন বা কৌতুকনাট্য]]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#গোড়ায় গলদ ও শেষরক্ষা|''গোড়ায় গলদ'' ও ''শেষরক্ষা'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#বৈকুণ্ঠের খাতা|''বৈকুণ্ঠের খাতা'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#হাস্যকৌতুক ও ব্যঙ্গকৌতুক|''হাস্যকৌতুক'' ও ''ব্যঙ্গকৌতুক'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#চিরকুমার সভা|''চিরকুমার সভা'']]
## [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#রবীন্দ্রনাথের রূপক-সাংকেতিক নাটক|রূপক-সাংকেতিক নাটক]]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#শারদোৎসব ও ঋণশোধ|''শারদোৎসব'' ও ''ঋণশোধ'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#রাজা ও অরূপরতন|''রাজা'' ও ''অরূপরতন'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#অচলায়তন ও গুরু|''অচলায়তন'' ও ''গুরু'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#ডাকঘর|''ডাকঘর'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#ফাল্গুনী|''ফাল্গুনী'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#মুক্তধারা|''মুক্তধারা'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#রক্তকরবী|''রক্তকরবী'']]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক#রথের রশি ও তাসের দেশ|''রথের রশি'' ও ''তাসের দেশ'']]
# [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উপন্যাস|উপন্যাস]]
# [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছোটোগল্প|ছোটোগল্প]]
# [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রবন্ধসাহিত্য|প্রবন্ধসাহিত্য]]
## [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রবন্ধসাহিত্য#প্রবন্ধসাহিত্যের শ্রেণিবিভাগ|প্রবন্ধসাহিত্যের শ্রেণিবিভাগ]]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রবন্ধসাহিত্য#প্রবন্ধসাহিত্যের শ্রেণিবিভাগ|প্রবন্ধসাহিত্যের শ্রেণিবিভাগ]]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রবন্ধসাহিত্য#সমালোচনা, সাহিত্যতত্ত্ব ও সাহিত্য আলোচনা-বিষয়ক প্রবন্ধ|সমালোচনা, সাহিত্যতত্ত্ব ও সাহিত্য আলোচনা-বিষয়ক প্রবন্ধ]]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রবন্ধসাহিত্য#শিক্ষা, সমাজ ও রাজনীতি-বিষয়ক প্রবন্ধ|শিক্ষা, সমাজ ও রাজনীতি-বিষয়ক প্রবন্ধ]]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রবন্ধসাহিত্য#ধর্ম, দর্শন ও অধ্যাত্ম-বিষয়ক প্রবন্ধ|ধর্ম, দর্শন ও অধ্যাত্ম-বিষয়ক প্রবন্ধ]]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রবন্ধসাহিত্য#ভ্রমণসাহিত্য|ভ্রমণসাহিত্য]]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রবন্ধসাহিত্য#পত্রসাহিত্য|পত্রসাহিত্য]]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রবন্ধসাহিত্য#আত্মকথা ও জীবনী|আত্মকথা ও জীবনী]]
### [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রবন্ধসাহিত্য#আবেগধর্মী প্রবন্ধ|আবেগধর্মী প্রবন্ধ]]
## [[/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রবন্ধসাহিত্য#মূল্যায়ন|মূল্যায়ন]]
# [[/রবীন্দ্রসংগীত|রবীন্দ্রসংগীত]]
{{বিষয়|বাংলা সাহিত্য}}
{{বর্ণানুক্রমিক|আ}}
{{বিষয়|সাহিত্য}}
{{বইয়ের বিষয়শ্রেণী}}
bvwqvekbxp5ksnbzut3vhqypryh90it
মানব শারীরতত্ত্ব/রেচনতন্ত্র
0
23388
84714
83939
2025-06-17T23:59:21Z
MS Sakib
6561
84714
wikitext
text/x-wiki
{{মানব শারীরতত্ত্ব|অনাক্রম্যতন্ত্র|শ্বসনতন্ত্র}}
[[Image:Illu_urinary_system.jpg|450 px|right]]
==পরিচিতি==
'''রেচনতন্ত্র''' হলো শরীরের একটি অঙ্গসমষ্টি বা তন্ত্র, যা রক্ত থেকে অতিরিক্ত তরল ও অন্যান্য পদার্থ ছেঁকে বের করে দেয়। এই পদার্থগুলো '''মূত্র''' আকারে শরীর থেকে বের হয়। মূত্র হলো কিডনির তৈরি করা একটি তরল। এটি মূত্রাশয়ে জমা থাকে এবং মূত্রনালী দিয়ে শরীর থেকে নির্গত হয়। এর মাধ্যমে শরীর থেকে অতিরিক্ত খনিজ, ভিটামিন এবং রক্তকণিকাও অপসারণ হয়। রেচনতন্ত্রের অঙ্গগুলো হলো কিডনি, রেচন নালী, মূত্রাশয় এবং মূত্রনালী। এই তন্ত্র শরীরের অন্যান্য তন্ত্রের সঙ্গে মিলেমিশে দেহে সাম্যাবস্থা বা হোমিওস্ট্যাসিস বজায় রাখতে সাহায্য করে। কিডনি এই সাম্যাবস্থার মূল অঙ্গ, কারণ এটি রক্তের অম্ল-ক্ষার এবং পানি-লবণ ভারসাম্য বজায় রাখে।
==রেচনতন্ত্রের কাজ==
রেচনতন্ত্রের প্রধান কাজগুলোর একটি হলো রেচন। রেচন হলো এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে শরীরের বিপাকক্রিয়াজনিত বর্জ্য ও অপ্রয়োজনীয় পদার্থ শরীর থেকে বের করে দেওয়া হয়। এই তন্ত্র মূত্রের মাধ্যমে শরীর থেকে কতটুকু পানি বের হবে তা নিয়ন্ত্রণ করে শরীরে উপযুক্ত তরল পরিমাণ বজায় রাখে। এছাড়াও, এটি শরীরের তরলে বিভিন্ন ইলেকট্রোলাইটের ঘনত্ব ও রক্তের স্বাভাবিক pH বজায় রাখতে সাহায্য করে। যদিও শরীরের অনেক অঙ্গই রেচন প্রক্রিয়ায় অংশ নেয়, তবে কিডনি হলো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নিষ্ক্রিয় অঙ্গ।
কিডনির মূল কাজ হলো দেহের অভ্যন্তরীণ পরিবেশ স্থিতিশীল (হোমিওস্ট্যাসিস) রাখা, যাতে কোষ ও কলার বিপাকক্রিয়া ঠিকভাবে চলে। কিডনি ইউরিয়া, খনিজ লবণ, বিষাক্ত পদার্থ এবং অন্যান্য বর্জ্যকে রক্ত থেকে ছেঁকে বের করে দেয়। একই সঙ্গে পানি, লবণ ও ইলেকট্রোলাইটও ধরে রাখে। বেঁচে থাকার জন্য অন্তত একটি কিডনি ঠিকভাবে কাজ করাটাই জরুরি।
'''কিডনির ছয়টি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা হলো:'''
'''১. প্লাজমার আয়নিক গঠন নিয়ন্ত্রণ:''' সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ক্লোরাইড, বাইকার্বনেট ও ফসফেটের মতো আয়ন কতটুকু বের হবে তা কিডনি নিয়ন্ত্রণ করে।
'''২. প্লাজমার অসমোলারিটির মাত্রা নিয়ন্ত্রণ:''' কিডনি ঠিক করে দেয় কতটুকু পানি ও আয়ন শরীর থেকে বের হবে। এর মাধ্যমে প্লাজমার অসমোলারিটি নিয়ন্ত্রিত হয়।
'''৩. প্লাজমার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ:''' কিডনি প্লাজমার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে, ফলে তা রক্তের মোট পরিমাণ ও রক্তচাপেও প্রভাব ফেলে। লবণ (NaCl) রক্তে পানি প্রবেশ করিয়ে রক্তচাপ বাড়াতে সাহায্য করে।
'''৪. প্লাজমার pH নিয়ন্ত্রণ:''' কিডনি ও ফুসফুস একত্রে রক্তের pH নিয়ন্ত্রণ করে। কিডনি বাইকার্বনেট ধরে রেখে বা বের করে দিয়ে pH নিয়ন্ত্রণে মুখ্য ভূমিকা রাখে। এটি হাইড্রোজেন আয়ন বের করে ও বাইকার্বনেট শোষণ করে রক্তের অম্লতা নিয়ন্ত্রণ করে।
'''৫. বিপাকীয় বর্জ্য ও বাইরে থেকে আসা পদার্থ অপসারণ:''' কিডনি নাইট্রোজেন জাতীয় বর্জ্য বের করে। এর মধ্যে প্রধান হলো ইউরিয়া। লিভার অ্যামোনিয়া ভেঙে কার্বন ডাইঅক্সাইডের সঙ্গে মিলিয়ে ইউরিয়া তৈরি করে, যা তুলনামূলক কম বিষাক্ত। এছাড়াও অ্যামোনিয়া, ক্রিয়েটিনিন (যা মাংসপেশির শক্তি রূপান্তরে তৈরি হয়) এবং ইউরিক অ্যাসিড (নিউক্লিওটাইড ভেঙে তৈরি) অপসারণ হয়। ইউরিক অ্যাসিড দ্রবণীয় নয়, তাই অতিরিক্ত হলে এটি গাঁটে জমে গেঁটে ব্যথা সৃষ্টি করতে পারে।
'''৬. হরমোন নিঃসরণ:''' কিডনি এন্ডোক্রাইন সিস্টেমকে সাহায্য করে। এটি রেনিন নামক হরমোন নিঃসরণ করে, যা অ্যাড্রিনাল কর্টেক্স থেকে অ্যালডোস্টেরনের নিঃসরণে সাহায্য করে। অ্যালডোস্টেরন সোডিয়াম শোষণ বাড়ায়। যখন রক্তে অক্সিজেন পরিবহনের ক্ষমতা কমে, তখন কিডনি ইরিথ্রোপয়েটিন নিঃসরণ করে, যা লোহিত রক্তকণিকা বা RBC তৈরিতে উদ্দীপনা দেয়। ত্বকে তৈরি ভিটামিন D-ও কিডনির মাধ্যমে সক্রিয় হয়, যা পরবর্তীতে পরিপাকতন্ত্র থেকে ক্যালসিয়াম শোষণ বাড়ায়।
'''CC: অধ্যায় মূল্যায়ন: কিডনির ভূমিকা ও কাজ কী কী?'''
[[Image:Renin-angiotensin-aldosterone system.svg|700 px|center]]
== রেচনতন্ত্রের অঙ্গসমূহ ==
=== কিডনি ===
'''কিডনি''' বা '''বৃক্ক''' হলো একজোড়া শিমের আকৃতির হাতের মুষ্টির আকারের বাদামী অঙ্গ। এটি ১০-১২ সেমি লম্বা। এদুটো রেনাল ক্যাপসুল দ্বারা আবৃত থাকে। রেনাল ক্যাপসুল হচ্ছে তন্তুযুক্ত সংযোগকারী টিস্যুর একটি শক্ত ক্যাপসুল। প্রতিটি কিডনির পৃষ্ঠের সাথে দুটি চর্বিযুক্ত স্তর লেগে থাকে। এগুলো কিডনি দুটোকে সুরক্ষিত করতে সাহায্য করে। কিডনির একটি অবতল দিকে একটি ভাজ থাকে যেখানে একটি রেনাল ধমনী প্রবেশ করে এবং একটি রেনাল শিরা এবং একটি মূত্রনালী কিডনি থেকে বেরিয়ে আসে। কিডনি দুটো উদর গহ্বরের পিছনের দেয়ালে কোমরের ঠিক উপরে অবস্থিত এবং পাঁজর দ্বারা সুরক্ষিত থাকে। এগুলিকে রেট্রোপেরিটোনিয়াল বলে মনে করা হয়। এর অর্থ এরা পেরিটোনিয়ামের পিছনে থাকে। কিডনির তিনটি প্রধান অঞ্চল রয়েছে, '''রেনাল কর্টেক্স''', '''রেনাল মেডুলা''' এবং '''রেনাল পেলভিস'''। বাইরের, দানাদার স্তর হল রেনাল কর্টেক্স। কর্টেক্স একটি রেডিয়ালি স্ট্রাইটেড অভ্যন্তরীণ স্তরের মধ্যে প্রসারিত হয়। ভিতরের রেডিয়ালি স্ট্রাইটেড স্তর হল রেনাল মেডুলা। এতে পিরামিড আকৃতির টিস্যু থাকে যা রেনাল পিরামিড নামে পরিচিত। এগুলো রেনাল কলাম দ্বারা পৃথক থাকে। মূত্রনালী কিডনির একেবারে কেন্দ্রস্থল রেনাল পেলভিসের সাথে অবিচ্ছিন্ন থাকে।
[[File:Kidney_PioM.png|সংযোগ=https://en.wikibooks.org/wiki/File:Kidney_PioM.png|ডান|থাম্ব|255x255পিক্সেল|কিডনির চিত্র: ১. রেনাল পিরামিড ২. ইন্টারলোবার ধমনী ৩. রেনাল ধমনী ৪. রেনাল শিরা ৫. রেনাল হাইলাম ৬. রেনাল পেলভিস ৭. ইউরেটার ৮. মাইনর ক্যালিক্স ৯. রেনাল ক্যাপসুল ১০. ইনফেরিয়র রেনাল ক্যাপসুল ১১. সুপিরিয়র রেনাল ক্যাপসুল ১২. ইন্টারলোবার শিরা ১৩. নেফ্রন ১৪. মাইনর ক্যালিক্স ১৫. মেজর ক্যালিক্স ১৬. রেনাল প্যাপিলা ১৭. রেনাল কলাম]]
==== রেনাল শিরা ====
'''রেনাল শিরাগুলো''' এমন শিরা যা কিডনি নিষ্কাশন করে। এরা কিডনিটিকে ইনফেরিয়র ভেনা কাভার সাথে সংযুক্ত করে। ইনফেরিয়র ভেনা কাভা শরীরের ডান অর্ধে থাকায় বাম রেনাল শিরা সাধারণত দুটির মধ্যে দীর্ঘতর হয়। ডান রেনাল শিরার বিপরীতে বাম রেনাল শিরা প্রায়শই বাম গোনাডাল শিরা (পুরুষদের মধ্যে বাম টেস্টিকুলার শিরা, মহিলাদের মধ্যে বাম ডিম্বাশয়ের শিরা) গ্রহণ করে। এটি প্রায়শই বাম সুপ্রারেনাল শিরাও গ্রহণ করে।
==== রেনাল ধমনী ====
'''রেনাল ধমনীগুলো''' সাধারণত পেটের মহাধমনী থেকে উত্থিত হয় এবং কিডনিকে রক্ত সরবরাহ করে। কিডনির ধমনী সরবরাহ পরিবর্তনশীল এবং প্রতিটি কিডনি সরবরাহকারী এক বা একাধিক রেনাল ধমনী থাকতে পারে। মহাধমনীর অবস্থানের কারণে, ইনফেরিয়র ভেনা কাভা এবং শরীরের কিডনি, ডান রেনাল ধমনী সাধারণত বাম রেনাল ধমনীর চেয়ে দীর্ঘতর হয়। ডান রেনাল ধমনী সাধারণত ইনফেরিয়র ভেনা কাভাতে পোস্টেরিয়র ভাবে অতিক্রম করে। রেনাল ধমনী কিডনিতে মোট রক্ত প্রবাহের একটি বড় অংশ বহন করে। মোট কার্ডিয়াক আউটপুটের এক তৃতীয়াংশ পর্যন্ত কিডনি দ্বারা ফিল্টার করার জন্য রেনাল ধমনীর মধ্য দিয়ে যেতে পারে।
=== '''ইউরেটার''' ===
'''ইউরেটার''' হলো নলাকৃতির মসৃণ পেশী, যা মূত্রকে কিডনি থেকে মূত্রথলিতে নিয়ে আসে। একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের মূত্রনালী সাধারণত ২০–৩০ সেমি (৮–১২ ইঞ্চি) দীর্ঘ এবং প্রায় ৩–৪ মিমি (০.১২–০.১৬ ইঞ্চি) ব্যাসের হয়ে থাকে। মূত্রনালীটি ইউরোথেলিয়াল কোষ দ্বারা তৈরি। যার একটি অতিরিক্ত মসৃণ পেশী স্তর রয়েছে, যা পেরিস্টালিসিসে সহায়তা করে। মূত্রনালী থেকে মূত্রাশয়ে মূত্র প্রবেশ করার পরে, মূত্রাশয়ের মিউকোসার ছোট ছোট ভাঁজগুলো ভালভের মতো কাজ করে যা মূত্রের পিছনের প্রবাহকে বাধা দেয়। মূত্রাশয়ের বহির্গমন একটি স্ফিঙ্কটার পেশী দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। একটি পূর্ণ মূত্রাশয় মূত্রাশয়ের দেয়ালে সংবেদনশীল স্নায়ুগুলিকে উদ্দীপিত করে যা স্ফিঙ্কটারকে শিথিল করে এবং মূত্র নির্গত হতে দেয়। তবে, স্ফিঙ্কটারের শিথিলকরণও আংশিকভাবে স্বেচ্ছায় নিয়ন্ত্রণের অধীনে একটি শিক্ষিত প্রতিক্রিয়া। নির্গত মূত্র মূত্রনালীতে প্রবেশ করে।
=== মূত্রথলি ===
'''মূত্রথলি''' একটি ফাঁপা, পেশীবহুল এবং প্রসারিত বা স্থিতিস্থাপক অঙ্গ যা পেলভিক ফ্লোরে অবস্থিত (পুরুষদের ক্ষেত্রে প্রোস্টেটের চেয়ে উপরে)। এর সামনের সীমানায় পিউবিক সিম্ফাইসিস এবং এর পশ্চাৎ সীমানায় যোনি (মহিলাদের ক্ষেত্রে) ও মলদ্বার (পুরুষদের ক্ষেত্রে) থাকে। মূত্রথলি প্রায় ১৭ থেকে ১৮ আউন্স (৫০০ থেকে ৫৩০ মিলি) মূত্র ধারণ করতে পারে, তবে সাধারণত যখন এটি প্রায় ১৫০ থেকে ২০০ মিলি থাকে তখন মূত্রত্যাগের ইচ্ছা অনুভূত হয়। যখন মূত্রথলি মূত্রে পূর্ণ হয় (প্রায় অর্ধেক পূর্ণ), তখন স্ট্রেচ রিসেপ্টরগুলি মেরুদণ্ডে স্নায়বিক ইমপালস পাঠায়, যা পরে মূত্রথলির ঘাড়ে অবস্থিত স্ফিঙ্কটারে (পেশীবহুল ভালভ) একটি প্রতিফলিত স্নায়বিক ইমপালস পাঠায়। এর ফলে এটি শিথিল হয়ে মূত্রনালীতে মূত্র প্রবাহিত হতে দেয়। অভ্যন্তরীণ মূত্রথলি স্ফিঙ্কটার অনৈচ্ছিক পেশি। মূত্রথলি এর ডোরসোল্যাটেরাল তল থেকে তির্যকভাবে মূত্রথলিতে প্রবেশ করে যা ট্রাইগোন নামক একটি অঞ্চলে অবস্থিত। ট্রাইগোন হল মূত্রনালীর পশ্চাদ-নীচের প্রাচীরের একটি ত্রিভুজাকার আকৃতির স্থান। মূত্রনালী ট্রাইগোনের ত্রিভুজের সর্বনিম্ন বিন্দু থেকে বেরিয়ে আসে। মূত্রাশয়ের মূত্র শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে। স্বাভাবিকভাবে কাজ করার সময়, মূত্রাশয় সম্পূর্ণরূপে স্রাবের পরে সম্পূর্ণরূপে খালি হয়ে যায়, অন্যথায় এটি একটি লক্ষণ যে এর স্থিতিস্থাপকতা হ্রাস পেয়েছে, যখন এটি সম্পূর্ণরূপে তরল শূন্য হয়ে যায়, তখন শরীরের তাপমাত্রার দ্রুত পরিবর্তনের কারণে এটি ঠান্ডা অনুভূতি সৃষ্টি করতে পারে।
=== মূত্রনালী ===
[[File:Gray1139.png|সংযোগ=https://en.wikibooks.org/wiki/File:Gray1139.png|বাম|থাম্ব|250x250পিক্সেল|'''মহিলাদের মূত্রনালী (নীচে ডানদিকে লেবেলযুক্ত।)''']]
[[File:Gray1142.png|সংযোগ=https://en.wikibooks.org/wiki/File:Gray1142.png|ডান|থাম্ব|349x349পিক্সেল|পুরুষ স্ফিঙ্কটার মূত্রনালী পেশী - পুরুষ মূত্রনালী সামনের (উপরের) পৃষ্ঠে খোলা থাকে। (অঞ্চলটি দৃশ্যমান, কিন্তু পেশী চিহ্নিত করা হয়নি।)]]
'''মূত্রনালী''' একটি পেশীবহুল নল যা মূত্রাশয়কে শরীরের বাইরের সাথে সংযুক্ত করে। মূত্রনালীর কাজ হলো শরীর থেকে মূত্র অপসারণ করা। মহিলাদের ক্ষেত্রে এটি প্রায় ১.৫ ইঞ্চি (৩.৮ সেমি) কিন্তু পুরুষদের ক্ষেত্রে ৮ ইঞ্চি (২০ সেমি) পর্যন্ত লম্বা হয়। কোনও মহিলার মূত্রনালীমধ্যে এত ছোট হয় যে কোনও মহিলার পক্ষে এর মূত্রাশয়টিতে ক্ষতিকারক ব্যাকটিরিয়া পাওয়া অনেক সহজ করে তোলে, এটিকে সাধারণত মূত্রাশয়ের সংক্রমণ বা ইউটিআই বলা হয়। ইউটিআইয়ের সর্বাধিক সাধারণ ব্যাকটিরিয়া হলো বৃহত অন্ত্র থেকে ই-কোলাই যা মল পদার্থে নির্গত হয়।
মহিলাদের ক্ষেত্রে মূত্রনালী অনেক ছোট হওয়ায় তাদের মূত্রনালীতে ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া প্রবেশ করা অনেক সহজ করে তোলে। একে সাধারণত মূত্রনালীর সংক্রমণ বা UTI বলা হয়। মূত্রনালীর সংক্রমণের সবচেয়ে সাধারণ ব্যাকটেরিয়া হল বৃহৎ অন্ত্র থেকে মলদ্বারে নির্গত E-coli।
'''মহিলা মূত্রনালী'''
মানব স্ত্রীতে, মূত্রনালী প্রায় 1-2 ইঞ্চি লম্বা এবং ভগাঙ্কুর এবং যোনি ফাকে ভালভাতে উন্মুক্ত হয়।
মহিলাদের তুলনায় পুরুষদের দীর্ঘ মূত্রনালী থাকে। এর অর্থ হলো মহিলারা মূত্রাশয় (সিস্টাইটিস) এবং মূত্রনালীর সংক্রমণের জন্য বেশি সংবেদনশীল হন।
'''পুরুষ মূত্রনালী'''
মানব পুরুষের মধ্যে, মূত্রনালী প্রায় 8 ইঞ্চি দীর্ঘ এবং লিঙ্গের মাথার শেষে খোলে।
পুরুষের মূত্রনালীর দৈর্ঘ্য এবং এতে বেশ কয়েকটি বাঁক থাকার বিষয়টি ক্যাথেটারাইজেশনকে আরও কঠিন করে তোলে।
'''মূত্রনালী স্ফিঙ্কটার''' মূত্রথলি থেকে মূত্রের প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যবহৃত পেশীগুলোর একটি সম্মিলিত নাম। এই পেশীগুলো মূত্রনালীকে ঘিরে রাখে, যাতে এরা সংকুচিত হলে মূত্রনালী বন্ধ হয়ে যায়।
* পেশীগুলোর দুটি স্বতন্ত্র ক্ষেত্র রয়েছে: অভ্যন্তরীণ স্ফিঙ্কটার, মূত্রাশয়ের ঘাড়ে এবং
* বাহ্যিক, বা দূরবর্তী, স্ফিঙ্কটার।
মানব পুরুষদের মহিলাদের তুলনায় অনেক শক্তিশালী স্ফিঙ্কটার পেশী থাকে, যার অর্থ এরা দ্বিগুণ দীর্ঘ সময় ধরে প্রচুর পরিমাণে মূত্র ধরে রাখতে পারে, 800 মিলি মিলি পর্যন্ত, অর্থাত্ "এটি ধরে রাখুন"।
=== নেফ্রন ===
একটি নেফ্রন কিডনির মৌলিক কাঠামোগত এবং কার্যকরী ইউনিট। নেফ্রন নামটি গ্রীক শব্দ (নেফ্রোস) থেকে এসেছে, যার অর্থ কিডনি। এর প্রধান কাজ হলো রক্ত ফিল্টার করে, যা প্রয়োজন তা পুনরায় শোষণ করে এবং বাকিগুলো মূত্র হিসাবে নির্গত করে পানি এবং দ্রবণীয় পদার্থগুলো নিয়ন্ত্রণ করা। নেফ্রন শরীর থেকে বর্জ্য অপসারণ করে, রক্তের পরিমাণ এবং চাপ নিয়ন্ত্রণ করে, ইলেক্ট্রোলাইট এবং বিপাকের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এবং রক্তের পিএইচ নিয়ন্ত্রণ করে। এর ফাংশনগুলো জীবনের জন্য অত্যাবশ্যক এবং এন্টিডিউরেটিক হরমোন, অ্যালডোস্টেরন এবং প্যারাথাইরয়েড হরমোনের মতো হরমোন দ্বারা এন্ডোক্রাইন সিস্টেম দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়।
প্রতিটি নেফ্রনের রেনাল ধমনী থেকে দুটি কৈশিক অঞ্চল থেকে রক্তের নিজস্ব সরবরাহ রয়েছে। প্রতিটি নেফ্রন একটি প্রাথমিক ফিল্টারিং উপাদান (রেনাল কর্পাসকল) এবং পুনঃশোষণ এবং নিঃসরণের জন্য বিশেষায়িত একটি টিউবিউল (রেনাল টিউবিউল) দ্বারা গঠিত। রেনাল কর্পাসকলটি রক্ত থেকে বৃহত দ্রবণগুলো ফিল্টার করে, পরিবর্তনের জন্য রেনাল টিউবিউলে পানি এবং ছোট দ্রবণ সরবরাহ করে।
==== গ্লোমেরুলাস ====
গ্লোমেরুলাস একটি কৈশিক টাফ্ট যা রেনাল সঞ্চালনের একটি অ্যাফারেন্ট আর্টেরিওল থেকে এর রক্ত সরবরাহ গ্রহণ করে। গ্লোমেরুলার রক্তচাপ রক্ত থেকে এবং বোম্যান্স ক্যাপসুল দ্বারা তৈরি স্থানটিতে তরল এবং দ্রবণগুলো ফিল্টার করার জন্য চালিকা শক্তি সরবরাহ করে। গ্লোমেরুলাসে ফিল্টার না হওয়া অবশিষ্ট রক্ত সংকীর্ণ ইফারেন্ট ধমনীতে প্রবেশ করে। এরপরে এটি ভাসা রেক্টায় চলে যায়, যা আন্তঃস্থায়ী স্থানের মাধ্যমে জটিল টিউবিউলগুলোর সাথে জড়িত কৈশিক জালকগুলো সংগ্রহ করে, যেখানে পুনরায় শোষিত পদার্থগুলোও প্রবেশ করবে। এরপরে এটি রেনাল শিরাতে অন্যান্য নেফ্রন থেকে ইফারেন্ট ভেনুলগুলোর সাথে একত্রিত হয় এবং মূল রক্ত প্রবাহের সাথে পুনরায় মিলিত হয়।
'''অ্যাফারেন্ট/ইফারেন্ট আর্টেরিওলস'''
অ্যাফারেন্ট আর্টেরিওল গ্লোমারুলাসে রক্ত সরবরাহ করে। '''জাক্সটাগ্লোমেরুলার কোষ''' নামে পরিচিত বিশেষায়িত কোষগুলোর একটি গ্রুপ অ্যাফারেন্ট আর্টেরিওলের চারপাশে অবস্থিত যেখানে এটি রেনাল কর্পাসকলে প্রবেশ করে। ইফারেন্ট আর্টেরিওল গ্লোমেরুলাসকে নিষ্কাশন করে। দুটি ধমনীর মধ্যে '''ম্যাকুলা ডেনসা''' নামে বিশেষায়িত কোষ রয়েছে। জাক্সটাগ্লোমেরুলার কোষ এবং ম্যাকুলা ডেনসা সম্মিলিতভাবে '''জাক্সটাগ্লোমেরুলার অ্যাপারেটাস গঠন করে।''' এটি জাক্সটাগ্লোমেরুলার অ্যাপারেটাস কোষগুলোতে যে এনজাইম '''রেনিন''' গঠিত এবং সংরক্ষণ করা হয়। অ্যাফারেন্ট আর্টেরিওলগুলোতে রক্তচাপ হ্রাস, দূরবর্তী কনভলিউটেড টিউবিউলে সোডিয়াম ক্লোরাইড হ্রাস এবং রিসেপ্টরগুলোর সহানুভূতিশীল স্নায়ু উদ্দীপনা (বিটা-অ্যাড্রেনিক) এর প্রতিক্রিয়া হিসাবে রেনিন মুক্তি পায় জাক্সটাগ্লোমেরুলার কোষ। অ্যাঞ্জিওটেনসিন ১ এবং অ্যাঞ্জিওটেনসিন ২ গঠনের জন্য রেনিনের প্রয়োজন হয় যা অ্যাড্রিনাল কর্টেক্স দ্বারা অ্যালডোস্টেরনের নিঃসরণকে উদ্দীপিত করে।
==== গ্লোমেরুলার ক্যাপসুল বা বোম্যান্স ক্যাপসুল ====
'''বোম্যান্স ক্যাপসুল''' (একে '''গ্লোমেরুলার ক্যাপসুলও''' বলা হয়) গ্লোমেরুলাসকে ঘিরে থাকে এবং এটি ভিসারাল (সাধারণ স্কোয়ামাস এপিথেলিয়াল কোষ) (অভ্যন্তরীণ) এবং প্যারাইটাল (সাধারণ স্কোয়ামাস এপিথেলিয়াল কোষ) (বাইরের) স্তর দ্বারা গঠিত। ভিসারাল স্তরটি ঘন গ্লোমেরুলার বেসমেন্ট ঝিল্লির ঠিক নীচে অবস্থিত এবং এটি পডোসাইট দিয়ে তৈরি। এটি গ্লোমেরুলাসের দৈর্ঘ্যের উপরে ফুট প্রসেস প্রেরণ করে। ফুট প্রসেসগুলো একে অপরের সাথে আন্তঃসংযোগ করে পরিস্রাবণ স্লিট গঠন করে। এটি গ্লোমেরুলুয়ার এন্ডোথেলিয়ামের বিপরীতে ডায়াফ্রাম দ্বারা বিস্তৃত হয়। পরিস্রাবণ স্লিটগুলোর আকার বৃহত অণু (যেমন, অ্যালবামিন) এবং কোষগুলোর (যেমন, লাল রক্তকণিকা এবং প্লেটলেট) উত্তরণকে সীমাবদ্ধ করে। এছাড়াও, ফুট প্রসেসগুলোতে একটি নেতিবাচকভাবে চার্জযুক্ত কোট (গ্লাইকোক্যালিক্স) থাকে যা অ্যালবামিনের মতো নেতিবাচকভাবে চার্জযুক্ত অণুগুলোর পরিস্রাবণকে সীমাবদ্ধ করে। এই ক্রিয়াকে ইলেক্ট্রোস্ট্যাটিক বিকর্ষণ বলা হয়।
বোম্যান্স ক্যাপসুলের প্যারিয়েটাল স্তরটি স্কোয়ামাস এপিথেলিয়ামের একক স্তর দ্বারা আবৃত। ভিসারাল এবং প্যারাইটাল স্তরগুলোর মধ্যে বোম্যান্স স্থান রয়েছে, যেখানে পডোসাইটের পরিস্রাবণ স্লিটগুলোর মধ্য দিয়ে যাওয়ার পরে পরিস্রাবণ প্রবেশ করে। এখানেই মসৃণ পেশী কোষ এবং ম্যাক্রোফেজগুলো কৈশিক জালকগুলোর মধ্যে থাকে এবং তাদের জন্য সমর্থন সরবরাহ করে। ভিসারাল স্তরের বিপরীতে প্যারাইটাল স্তরটি পরিস্রাবণে কাজ করে না। বরং, পরিস্রাবণ বাধা তিনটি উপাদান দ্বারা গঠিত হয়: পরিস্রাবণ স্লিটগুলোর ডায়াফ্রাম, পুরু গ্লোমেরুলার বেসমেন্ট ঝিল্লি এবং পোডোসাইট দ্বারা লুকানো গ্লাইকোক্যালিক্স। গ্লোমেরুলার পরিস্রাবণের 99% শেষ পর্যন্ত পুনরায় সংশ্লেষিত হবে।
বোম্যান্স ক্যাপসুলে রক্তের পরিস্রাবণের প্রক্রিয়াটি হলো আল্ট্রাফিল্ট্রেশন (বা গ্লোমেরুলার পরিস্রাবণ), এবং পরিস্রাবণের স্বাভাবিক হার 125 মিলি / মিনিট, যা প্রতিদিন রক্তের পরিমাণের দশগুণ সমতুল্য। গ্লোমেরুলার পরিস্রাবণ হার (জিএফআর) পরিমাপ করা কিডনি ফাংশনের একটি ডায়াগনস্টিক পরীক্ষা। জিএফআর হ্রাস রেনাল ফেইলিউরের লক্ষণ হতে পারে। জিএফআরকে প্রভাবিত করতে পারে এমন শর্তগুলোর মধ্যে রয়েছে: ধমনী চাপ, অ্যাফারেন্ট আর্টেরিওল সংকোচন, ইফারেন্ট আর্টেরিওল সংকোচন, প্লাজমা প্রোটিন ঘনত্ব এবং কলয়েড অসমোটিক চাপ।
প্রায় 30 কিলোডাল্টন বা এর চেয়ে কম যে কোনও প্রোটিন ঝিল্লির মধ্য দিয়ে অবাধে যেতে পারে। যদিও, বেসমেন্ট ঝিল্লি এবং পডোসাইটের নেতিবাচক চার্জের কারণে নেতিবাচক চার্জযুক্ত অণুগুলোর জন্য কিছু অতিরিক্ত বাধা রয়েছে। জল, গ্লুকোজ, লবণ (এনএসিএল), অ্যামিনো অ্যাসিড এবং ইউরিয়ার মতো কোনও ছোট অণু বোম্যান্স স্থানে অবাধে প্রবেশ করে তবে কোষ, প্লেটলেট এবং বড় প্রোটিনগুলো তা করে না। ফলস্বরূপ, বোম্যান্স ক্যাপসুলটি ছেড়ে যাওয়া পরিস্রাবণটি রক্তের প্লাজমার সাথে খুব মিল রয়েছে কারণ এটি প্রক্সিমাল কনভোলিউটেড টিউবিউলে প্রবেশ করে। একসাথে, গ্লোমেরুলাস এবং বোম্যান্স ক্যাপসুলকে রেনাল কর্পাস্কল বলা হয়।
==== প্রক্সিমাল কনভোলিউটেড টিউবিউল (পিসিটি) ====
প্রক্সিমাল টিউবিউলকে শারীরবৃত্তীয়ভাবে দুটি বিভাগে বিভক্ত করা যেতে পারে: প্রক্সিমাল কনভোলিউটেড টিউবিউল এবং প্রক্সিমাল সোজা টিউবিউল। প্রক্সিমাল কনভোলিউটেড টিউবিউলটি এর কোষগুলোর হিস্টোলজিকাল চেহারার উপর ভিত্তি করে এস 1 এবং এস 2 বিভাগে আরও বিভক্ত করা যেতে পারে। এই নামকরণের কনভেনশন অনুসরণ করে, প্রক্সিমাল সোজা টিউবিউলকে সাধারণত এস 3 বিভাগ বলা হয়। প্রক্সিমাল কনভোলিউটেড টিউবিউলের লুমেনে কিউবয়েডাল কোষগুলোর একটি স্তর রয়েছে। এটি নেফ্রনের একমাত্র জায়গা যেখানে কিউবয়েডাল কোষ রয়েছে। এই কোষগুলো লক্ষ লক্ষ মাইক্রোভিলি দিয়ে আচ্ছাদিত। মাইক্রোভিলি পুনঃশোষণের জন্য পৃষ্ঠের ক্ষেত্রফল বৃদ্ধি করতে পরিবেশন করে।
প্রক্সিমাল কনভোলিউটেড টিউবিউলে প্রবেশকারী পরিস্রাবণের তরলটি পেরিটিউবিউলার কৈশিক জালকগুলোতে পুনরায় শোষিত হয়। এর মধ্যে প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ ফিল্টারযুক্ত লবণ এবং পানি এবং সমস্ত ফিল্টারযুক্ত জৈব দ্রবণ (প্রাথমিকভাবে গ্লুকোজ এবং অ্যামিনো অ্যাসিড) রয়েছে। এটি এপিথেলিয়াল কোষগুলোর বেসোল্যাটারাল ঝিল্লিতে Na+/K+ এটিপিজ দ্বারা লুমেন থেকে রক্তে সোডিয়াম পরিবহন দ্বারা চালিত হয়। পানি এবং দ্রবণের ভর চলাচলের বেশিরভাগই টাইট জংশনগুলোর মাধ্যমে কোষগুলোর মধ্যে ঘটে, যা এই ক্ষেত্রে নির্বাচনী নয়।
দ্রবণগুলো আইসোটোনিকভাবে শোষিত হয়, এতে প্রক্সিমাল টিউবিউল ছেড়ে যাওয়া তরলটির অসমোটিক সম্ভাবনা প্রাথমিক গ্লোমেরুলার পরিস্রাবণের মতোই। গ্লুকোজ, অ্যামিনো অ্যাসিড, অজৈব ফসফেট এবং কিছু অন্যান্য দ্রবণগুলো নেফ্রন থেকে সোডিয়াম গ্রেডিয়েন্ট দ্বারা চালিত সহপরিবহন চ্যানেলগুলোর মাধ্যমে গৌণ সক্রিয় পরিবহনের মাধ্যমে পুনরায় শোষিত হয়।
==== লুপ অব দ্য নেফ্রন বা হেনলির লুপ ====
[[File:Gray1128.png|সংযোগ=https://en.wikibooks.org/wiki/File:Gray1128.png|বাম|থাম্ব|450x450পিক্সেল|লুপ অব দ্য নেফ্রন বা হেনলির লুপ]]
হেনলির লুপ (কখনও কখনও নেফ্রন লুপ হিসাবে পরিচিত) একটি ইউ-আকৃতির নল যা একটি অবরোহী লিম্ব এবং আরোহী লিম্ব নিয়ে গঠিত। এটি কর্টেক্সে শুরু হয়, প্রক্সিমাল কনভোলিউটেড টিউবিউল থেকে পরিস্রাবণ গ্রহণ করে, মেডুলায় প্রসারিত হয় এবং তারপরে দূরবর্তী জটিল টিউবিউলে খালি করতে কর্টেক্সে ফিরে আসে। এর প্রাথমিক ভূমিকা হলো লুপের চারপাশের টিস্যু ইন্টারস্টিটিয়ামে লবণকে কেন্দ্রীভূত করা।
; অবরোহী লিম্ব
: এর অবরোহী লিম্বটি পানির জন্য প্রবেশযোগ্য তবে লবণের জন্য সম্পূর্ণরূপে দুর্ভেদ্য। এইভাবে এটি পরোক্ষভাবে ইন্টারস্টিটিয়ামের ঘনত্বে অবদান রাখে। পরিস্রাবণ রেনাল মেডুলার হাইপারটোনিক ইন্টারস্টিটিয়ামের গভীরে নেমে আসার সাথে সাথে পরিস্রাবণ এবং ইন্টারস্টিটিয়াম ভারসাম্যের টনিসিটি না হওয়া পর্যন্ত অসমোসিস দ্বারা অবরোহী লিম্ব থেকে পানি অবাধে প্রবাহিত হয়। দীর্ঘতর অবরোহী লিম্বগুলো পরিস্রাবণ থেকে পানি প্রবাহিত হওয়ার জন্য আরও বেশি সময় দেয়, তাই দীর্ঘতর অঙ্গগুলো ছোট অঙ্গগুলোর চেয়ে পরিস্রাবণকে আরও হাইপারটোনিক করে তোলে।
; আরোহী লিম্ব
: অবরোহী লিম্বের বিপরীতে হেনলির লুপের আরোহী লিম্বটি পানির জন্য দুর্ভেদ্য, লুপ দ্বারা নিযুক্ত কাউন্টারকারেন্ট এক্সচেঞ্জ মেকানিজমের একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। আরোহী লিম্বটি সক্রিয়ভাবে পরিস্রাবণ থেকে সোডিয়ামকে পাম্প করে, হাইপারটোনিক ইন্টারস্টিটিয়াম তৈরি করে যা কাউন্টারকারেন্ট এক্সচেঞ্জকে চালিত করে। আরোহী লিম্বের মধ্য দিয়ে যাওয়ার সময়, পরিস্রাবণ হাইপোটোনিক বৃদ্ধি পায় কারণ এটি এর সোডিয়াম সামগ্রীর বেশিরভাগ অংশ হারিয়েছে। এই হাইপোটোনিক পরিস্রাবণ রেনাল কর্টেক্সে দূরবর্তী জটিল টিউবিউলে পাস করা হয়।
==== দূরবর্তী কনভোলিউটেড টিউবিউল (ডিসিটি) ====
দূরবর্তী জটিল টিউবিউলটি কাঠামো এবং ফাংশনে প্রক্সিমাল কনভোলিউটেড টিউবিউলের অনুরূপ। টিউবিউলের আস্তরণের কোষগুলোতে অসংখ্য মাইটোকন্ড্রিয়া থাকে, যা এটিপি দ্বারা সরবরাহিত শক্তি দ্বারা সক্রিয় পরিবহন সক্ষম করে। দূরবর্তী জটিল টিউবিউলে সঞ্চালিত আয়ন পরিবহনের বেশিরভাগই এন্ডোক্রাইন সিস্টেম দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। প্যারাথাইরয়েড হরমোনের উপস্থিতিতে, দূরবর্তী সংশ্লেষিত টিউবিউল আরও ক্যালসিয়াম পুনরায় শোষণ করে এবং আরও ফসফেট নির্গত করে। যখন অ্যালডোস্টেরন উপস্থিত থাকে, তখন আরও সোডিয়াম পুনরায় শোষিত হয় এবং আরও পটাসিয়াম নির্গত হয়। অ্যাট্রিয়াল ন্যাট্রিউরেটিক পেপটাইড দূরবর্তী কনভলিউটেড টিউবিউলকে আরও সোডিয়াম নির্গত করে। এছাড়াও, টিউবিউল পিএইচ নিয়ন্ত্রণ করতে হাইড্রোজেন এবং অ্যামোনিয়ামও গোপন করে। দূরবর্তী সংশ্লেষিত টিউবিউলের দৈর্ঘ্য ভ্রমণ করার পরে, কেবলমাত্র 3% পানি অবশিষ্ট থাকে এবং অবশিষ্ট লবণের পরিমাণ নগণ্য। গ্লোমেরুলার পরিস্রাবণের 97.9% পানি জটিল টিউবিউলগুলোতে প্রবেশ করে এবং অসমোসিস দ্বারা নালী সংগ্রহ করে।
==== সংগ্রাহী নালী ====
প্রতিটি দূরবর্তী জটিল টিউবিউল এর পরিস্রাবণ সংগ্রাহী নালীর একটি সিস্টেমে সরবরাহ করে, যার প্রথম বিভাগটি সংযোগকারী টিউবিউল। সংগ্রহকারী নালী সিস্টেমটি রেনাল কর্টেক্সে শুরু হয় এবং মেডুলার গভীরে প্রসারিত হয়। মূত্রটি সংগ্রহকারী নালী সিস্টেমে ভ্রমণ করার সাথে সাথে এটি মেডুলারি ইন্টারস্টিটিয়ামের পাশ দিয়ে যায় যা হেনলির কাউন্টারকারেন্ট গুণক সিস্টেমের লুপের ফলে উচ্চ সোডিয়াম ঘনত্ব থাকে। যদিও সংগ্রহকারী নালীটি সাধারণত পানির জন্য দুর্ভেদ্য হয় তবে এটি অ্যান্টিডিউরেটিক হরমোন (এডিএইচ) এর উপস্থিতিতে প্রবেশযোগ্য হয়ে ওঠে। মূত্র থেকে তিন-চতুর্থাংশ পানি পুনরায় শোষিত হতে পারে কারণ এটি অসমোসিস দ্বারা সংগ্রহকারী নালী ছেড়ে যায়। সুতরাং এডিএইচের স্তরগুলো নির্ধারণ করে যে মূত্র ঘনীভূত হবে বা পাতলা হবে কিনা। ডিহাইড্রেশনের ফলে এডিএইচ বৃদ্ধি পায়, অন্যদিকে পানির পর্যাপ্ততার ফলে কম এডিএইচ হয় যা পাতলা মূত্রের অনুমতি দেয়। সংগ্রহকারী নালীর নীচের অংশগুলোও ইউরিয়াতে প্রবেশযোগ্য। এর ফলে এর কিছু অংশ কিডনির মেডুলায় প্রবেশ করতে দেয়, এইভাবে এর উচ্চ আয়ন ঘনত্ব বজায় রাখে (যা নেফ্রনের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ)।
মূত্র রেনাল প্যাপিলার মাধ্যমে মেডুলারি সংগ্রহকারী নালীগুলো ছেড়ে দেয়, রেনাল ক্যালিসেস, রেনাল পেলভিস এবং অবশেষে মূত্রনালীর মাধ্যমে মূত্রাশয়ের মধ্যে খালি হয়। যেহেতু এটি নেফ্রনের বাকী অংশের চেয়ে আলাদা ভ্রূণের উত্স রয়েছে (সংগ্রহকারী নালীটি এন্ডোডার্ম থেকে এবং নেফ্রনটি মেসোডার্ম থেকে), সংগ্রহকারী নালীটি সাধারণত নেফ্রনের যথাযথ অংশ হিসাবে বিবেচিত হয় না।
'''রেনাল হরমোন'''
১. ভিটামিন ডি- কিডনিতে বিপাকীয়ভাবে সক্রিয় হয়ে ওঠে। কিডনি রোগে আক্রান্ত রোগীদের ক্যালসিয়াম এবং ফসফেট ভারসাম্য বিঘ্নিত হওয়ার লক্ষণ রয়েছে।
2. এরিথ্রোপয়েটিন- টিস্যু অক্সিজেনের মাত্রা (হাইপোক্সিয়া) হ্রাসের প্রতিক্রিয়া হিসাবে কিডনি দ্বারা মুক্তি পায়।
3. ন্যাট্রিউরেটিক হরমোন- বর্ধিত অ্যাট্রিয়াল প্রসারিত প্রতিক্রিয়া হিসাবে হৃদয়ের ডান অ্যাট্রিয়ায় অবস্থিত কার্ডিওসাইট গ্রানুলস থেকে মুক্তি। এটি এডিএইচ নিঃসরণকে বাধা দেয় যা সোডিয়াম এবং পানির ক্ষতিতে অবদান রাখতে পারে।
== মূত্র গঠন ==
মূত্র তিনটি ধাপে গঠিত হয়: পরিস্রাবণ, পুনঃশোষণ এবং নিঃসরণ।
=== পরিস্রাবণ ===
রক্ত অ্যাফারেন্ট আর্টেরিওলে প্রবেশ করে এবং গ্লোমেরুলাসে প্রবাহিত হয়। গ্লোমারুলাসে রক্তে ফিল্টারযোগ্য রক্তের উপাদান এবং অ-ফিল্টারযোগ্য রক্তের উপাদান উভয়ই রয়েছে। ফিল্টারযোগ্য রক্তের উপাদানগুলো গ্লোমেরুলাসের অভ্যন্তরের দিকে চলে যায় যখন অ-ফিল্টারযোগ্য রক্তের উপাদানগুলো ইফারেন্ট ধমনীর মধ্য দিয়ে প্রস্থান করে পরিস্রাবণ প্রক্রিয়াটিকে বাইপাস করে। ফিল্টারযোগ্য রক্তের উপাদানগুলো তখন গ্লোমেরুলার ফিল্টারেট নামে একটি প্লাজমার মতো ফর্ম নেবে। ফিল্টারযোগ্য রক্তের কয়েকটি উপাদান হলো জল, নাইট্রোজেনাস বর্জ্য, পুষ্টি এবং লবণ (আয়ন)। ননফিল্টারযোগ্য রক্তের উপাদানগুলোর মধ্যে প্লাজমা প্রোটিনের সাথে রক্তকণিকা এবং প্লেটলেটগুলোর মতো গঠিত উপাদান রয়েছে। গ্লোমেরুলার পরিস্রাবণ মূত্রের মতো একই সামঞ্জস্য নয়, কারণ পরিস্রাবণ নেফ্রনের নলগুলোর মধ্য দিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে এটির বেশিরভাগ অংশ রক্তে পুনরায় শোষিত হয়।
=== পুনঃশোষণ ===
পেরিটিউবিউলার কৈশিক নেটওয়ার্কের মধ্যে, অণু এবং আয়নগুলো রক্তে পুনরায় সংশ্লেষিত হয়। সিস্টেমে পুনরায় শোষিত সোডিয়াম ক্লোরাইড গ্লোমেরুলার পরিস্রাবণের তুলনায় রক্তের অসমোলারিটি বৃদ্ধি করে। এই পুনঃশোষণ প্রক্রিয়াটি পানি (এইচ 2 ও) গ্লোমেরুলার পরিস্রাবণ থেকে সংবহনতন্ত্রে ফিরে যেতে দেয়।
গ্লুকোজ এবং বিভিন্ন অ্যামিনো অ্যাসিডও সংবহনতন্ত্রে পুনরায় সংশ্লেষিত হয়। এই পুষ্টিগুলোর ক্যারিয়ার অণু রয়েছে যা গ্লোমেরুলার অণুকে দাবি করে এবং এটি সংবহনতন্ত্রে ফিরিয়ে দেয়। যদি সমস্ত ক্যারিয়ার অণু ব্যবহার করা হয় তবে অতিরিক্ত গ্লুকোজ বা অ্যামিনো অ্যাসিডগুলো মূত্রে ছেড়ে দেওয়া হয়। ডায়াবেটিসের একটি জটিলতা হলো গ্লুকোজ পুনরায় সংশ্লেষ করতে শরীরের অক্ষমতা। যদি গ্লোমেরুলার পরিস্রাবণে খুব বেশি গ্লুকোজ উপস্থিত হয় তবে এটি পরিস্রাবণের অসমোলারিটি বাড়িয়ে তোলে। এর ফলে সংবহনতন্ত্র দ্বারা পুনরায় সংশ্লেষিত হওয়ার পরিবর্তে মূত্রে পানি ছেড়ে দেওয়া হয়। ঘন ঘন মূত্র এবং অব্যক্ত তৃষ্ণা ডায়াবেটিসের সতর্কতা লক্ষণ, পানি পুনরায় শোষিত না হওয়ার কারণে।
গ্লোমেরুলার পরিস্রাবণ এখন দুটি রূপে বিভক্ত করা হয়েছে: পুনরায় শোষিত ফিল্টারেট এবং অ-পুনঃশোষিত ফিল্টারেট। অ-পুনঃশোষিত পরিস্রাবণ এখন নলাকার তরল হিসাবে পরিচিত কারণ এটি মূত্রে প্রক্রিয়াজাত করার জন্য সংগ্রহকারী নালীর মধ্য দিয়ে যায়।
=== নিঃসরণ ===
কিছু পদার্থ পেরিটিউবিউলার কৈশিক নেটওয়ার্কের মাধ্যমে রক্ত থেকে দূরবর্তী জটিল টিউবিউল বা সংগ্রহকারী নালীতে সরানো হয়। এই পদার্থগুলো হলো হাইড্রোজেন আয়ন, ক্রিয়েটিনিন এবং ড্রাগস। মূত্র হলো পদার্থের সংগ্রহ যা গ্লোমেরুলার পরিস্রাবণ বা নলাকার পুনঃশোষণের সময় পুনরায় সংশ্লেষিত হয়নি।
== পানি-লবণের ভারসাম্য বজায় রাখা ==
রক্তের পানি-লবণের ভারসাম্য বজায় রাখা কিডনির কাজ। এগুলো রক্তের পরিমাণের পাশাপাশি রক্তচাপও বজায় রাখে। এই ভারসাম্য পরিবর্তন করার উপায়গুলোর সহজ উদাহরণগুলোর মধ্যে রয়েছে পানি খাওয়া, ডিহাইড্রেশন, রক্ত ক্ষয় এবং লবণ খাওয়া।
=== পানির পুনঃশোষণ ===
কিডনিতে পানি নির্গমনের সরাসরি নিয়ন্ত্রণ অ্যান্টি-ডিউরেটিক হরমোন (এডিএইচ) দ্বারা অনুশীলন করা হয়, যা পিটুইটারি গ্রন্থির পোস্টেরিয়র লোব দ্বারা প্রকাশিত হয়। এডিএইচ সংগ্রহকারী নালীগুলোর আস্তরণের কোষগুলোর ঝিল্লিতে পানির চ্যানেলগুলো সন্নিবেশ করে, পানির পুনঃশোষণ ঘটতে দেয়। এডিএইচ ছাড়াই, সংগ্রহকারী নালীগুলোতে অল্প পরিমাণে পানি পুনরায় শোষিত হয় এবং পাতলা মূত্র নির্গত হয়। বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে যা এডিএইচ নিঃসরণকে প্রভাবিত করে। এর মধ্যে প্রথমটি ঘটে যখন রক্তের প্লাজমা খুব ঘনীভূত হয়। যখন এটি ঘটে তখন হাইপোথ্যালামাসের বিশেষ রিসেপ্টরগুলো এডিএইচ প্রকাশ করে। যখন রক্তচাপ কমে যায়, তখন মহাধমনী এবং ক্যারোটিড ধমনীতে প্রসারিত রিসেপ্টরগুলো রক্তের পরিমাণ বাড়ানোর জন্য এডিএইচ নিঃসরণকে উদ্দীপিত করে।
=== লবণের পুনঃশোষণ ===
কিডনি বিভিন্ন আয়নগুলোর নির্গমন এবং পুনঃশোষণ নিয়ন্ত্রণ করে রক্তে লবণের ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণ করে। উপরে উল্লিখিত হিসাবে, এডিএইচ কিডনিতে পানির পুনঃশোষণ বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে, এইভাবে শারীরিক তরলগুলো পাতলা করতে সহায়তা করে। দূরবর্তী নেফ্রনে সোডিয়াম পুনরায় শোষণের জন্য কিডনিগুলোর একটি নিয়ন্ত্রিত প্রক্রিয়াও রয়েছে। এই প্রক্রিয়াটি অ্যালডোস্টেরন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়, অ্যাড্রিনাল কর্টেক্স দ্বারা উত্পাদিত একটি স্টেরয়েড হরমোন। অ্যালডোস্টেরন পটাসিয়াম আয়নগুলোর নির্গমন এবং সোডিয়াম আয়নগুলোর পুনঃশোষণকে উত্সাহ দেয়। অ্যালডোস্টেরনের মুক্তি কিডনি দ্বারা শুরু হয়। জাক্সটাগ্লোমেরুলার অ্যাপারেটাস একটি রেনাল কাঠামো যা ম্যাকুলা ডেনসা, মেসাঙ্গিয়াল কোষ এবং জাক্সটাগ্লোমেরুলার কোষ নিয়ে গঠিত। জাক্সটাগ্লোমেরুলার কোষ (জেজি কোষ, যা দানাদার কোষ হিসাবেও পরিচিত) রেনিন নিঃসরণের সাইট। রেনিন একটি এনজাইম যা অ্যাঞ্জিওটেনসিনোজেনকে (লিভার দ্বারা উত্পাদিত একটি বৃহত প্লাজমা প্রোটিন) অ্যাঞ্জিওটেনসিন I এবং শেষ পর্যন্ত অ্যাঞ্জিওটেনসিন II তে রূপান্তরিত করে যা অ্যাড্রিনাল কর্টেক্সকে অ্যালডোস্টেরন উত্পাদন করতে উদ্দীপিত করে। সোডিয়াম আয়নগুলোর পুনঃশোষণ পানির পুনঃশোষণ দ্বারা অনুসরণ করা হয়। এর ফলে রক্তচাপের পাশাপাশি রক্তের পরিমাণও বেড়ে যায়।
'''অ্যাট্রিয়াল ন্যাট্রিউরেটিক হরমোন (এএনএইচ''') হৃৎপিণ্ডের অ্যাট্রিয়া দ্বারা প্রকাশিত হয় যখন রক্তের পরিমাণ বৃদ্ধির কারণে কার্ডিয়াক কোষগুলো প্রসারিত হয়। এএনএইচ জাক্সটাগ্লোমেরুলার অ্যাপারেটাস দ্বারা রেনিনের নিঃসরণ এবং অ্যাড্রিনাল কর্টেক্স দ্বারা অ্যালডোস্টেরনের নিঃসরণকে বাধা দেয়। এটি সোডিয়াম নির্গমনকে উত্সাহ দেয়। সোডিয়াম যখন নির্গত হয় তখন পানিও নির্গত হয়। এর ফলে রক্তচাপ এবং আয়তন হ্রাস পায়।
==== হাইপারনেট্রেমিয়া ====
স্বাভাবিকের চেয়ে প্লাজমা সোডিয়ামের মাত্রা বৃদ্ধি '''হাইপারনেট্রেমিয়া'''। সোডিয়াম বহির্মুখী তরলের প্রাথমিক দ্রবণ। অসমোলারিটি নিয়ন্ত্রণে সোডিয়ামের স্তরের একটি প্রধান ভূমিকা রয়েছে। উত্তেজনাপূর্ণ কোষগুলোর জন্য, প্লাজমা ঝিল্লি জুড়ে সোডিয়ামের জন্য বৈদ্যুতিন রাসায়নিক গ্রেডিয়েন্ট জীবনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। পানি ধরে রাখা এবং রক্তচাপ বৃদ্ধি সাধারণত হাইপারনেট্রেমিয়ার লক্ষণ। প্লাজমার সোডিয়ামের মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে কম হলে তাকে '''হাইপোন্যাট্রেমিয়া''' বলে। এর লক্ষণগুলো হলো কম প্লাজমা ভলিউম এবং হাইপোটেনশন।
==== মূত্রবর্ধক ====
মূত্রবর্ধক (কথোপকথনে পানির বড়ি বলা হয়) হলো এমন কোনও ওষুধ যা শারীরিক মূত্রের নির্গমনের হার বাড়ায় (ডায়রিসিস)। মূত্রবর্ধকগুলো বহির্মুখী তরল (ইসিএফ) ভলিউমও হ্রাস করে এবং প্রাথমিকভাবে একটি নেতিবাচক বহির্মুখী তরল ভারসাম্য তৈরি করতে ব্যবহৃত হয়। ক্যাফিন, ক্র্যানবেরি জুস এবং অ্যালকোহল সবই দুর্বল মূত্রবর্ধক। ঔষধে, মূত্রবর্ধক হার্ট ফেইলিওর, লিভার সিরোসিস, উচ্চ রক্তচাপ এবং কিছু কিডনি রোগের চিকিত্সার জন্য ব্যবহৃত হয়। মূত্রবর্ধকগুলো মূত্রের মাধ্যমে সোডিয়াম এবং পানির ক্ষতি করে এই রোগগুলোর লক্ষণগুলো হ্রাস করে। যেহেতু মূত্র কিডনি দ্বারা উত্পাদিত হয়, সোডিয়াম এবং পানি - যা রোগের সাথে সম্পর্কিত এডমা সৃষ্টি করে - মূত্র হিসাবে হারিয়ে যাওয়া ভলিউম প্রতিস্থাপনের জন্য রক্তে চলে যায়। এর ফলে রোগগত শোথ হ্রাস পায়। কিছু মূত্রবর্ধক, যেমন অ্যাসিটাজোলামাইড, মূত্রকে আরও ক্ষারীয় করতে সহায়তা করে এবং অতিরিক্ত মাত্রা বা বিষক্রিয়ার ক্ষেত্রে অ্যাসপিরিনের মতো পদার্থের নির্গমন বৃদ্ধিতে সহায়ক। কিছু মূত্রবর্ধক (বিশেষত থায়াজাইড এবং লুপ মূত্রবর্ধক) এর অ্যান্টিহাইপারটেনসিভ ক্রিয়াগুলো তাদের মূত্রবর্ধক প্রভাব থেকে স্বাধীন। অর্থাৎ, রক্তচাপ হ্রাস মূত্র উত্পাদন বৃদ্ধির ফলে রক্তের পরিমাণ হ্রাসের কারণে নয়, তবে অন্যান্য প্রক্রিয়াগুলোর মাধ্যমে এবং ডায়রিসিস উত্পাদন করার জন্য প্রয়োজনীয় মাত্রার চেয়ে কম মাত্রায় ঘটে। ইন্ডাপামাইড বিশেষভাবে এই মনের সাথে ডিজাইন করা হয়েছিল এবং অন্যান্য ডায়রিটিক্সের তুলনায় উচ্চ রক্তচাপের (উচ্চারিত ডায়রিসিস ছাড়াই) জন্য একটি বৃহত্তর থেরাপিউটিক উইন্ডো রয়েছে। রাসায়নিকভাবে, মূত্রবর্ধকগুলো যৌগগুলোর একটি বিচিত্র গ্রুপ যা কিডনি দ্বারা মূত্রের উত্পাদন নিয়ন্ত্রণ করতে প্রাকৃতিকভাবে দেহে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন হরমোনকে উদ্দীপিত করে বা বাধা দেয়। অ্যালকোহল ভ্যাসোপ্রেসিন সিস্টেমের মড্যুলেশনের মাধ্যমে মূত্রবর্ধক উত্পাদন করে।
== কিডনির রোগ ==
[[File:Kidney_Stone1.jpg|সংযোগ=https://en.wikibooks.org/wiki/File:Kidney_Stone1.jpg|কেন্দ্র|থাম্ব|'''কিডনিতে পাথরের একটি ছবি।''']]
'''ডায়াবেটিক নেফ্রোপ্যাথি''' (নেফ্রোপেটিয়া ডায়াবেটিকা), যা কিমেলস্টিয়েল-উইলসন সিন্ড্রোম এবং ইন্টারক্যাপিলারি গ্লোমেরুলোনফ্রাইটিস নামেও পরিচিত। এটি কিডনি গ্লোমারুলিতে কৈশিক জালকগুলোর অ্যাঞ্জিওপ্যাথি দ্বারা সৃষ্ট একটি প্রগতিশীল কিডনি রোগ। এটি নোডুলার গ্লোমেরুলোস্ক্লেরোসিস দ্বারা চিহ্নিত করা হয়। এটি দীর্ঘস্থায়ী ডায়াবেটিস মেলিটাসের কারণে এবং অনেক পশ্চিমা দেশে ডায়ালাইসিসের একটি প্রধান কারণ।
ঔষধে '''হেমাটুরিয়া''' (বা "হেমাটুরিয়া") মূত্রে রক্তের উপস্থিতি। এটি কিডনি এবং মূত্রনালীর বিপুল সংখ্যক রোগের লক্ষণ, তুচ্ছ থেকে প্রাণঘাতী পর্যন্ত।
'''কিডনিতে পাথর''', যা নেফ্রোলিথিয়াসেস, ইউরোলিথিয়াসেস বা রেনাল ক্যালকুলি নামেও পরিচিত। এটি কিডনি বা মূত্রনালীর অভ্যন্তরে পাওয়া মূত্রে দ্রবীভূত খনিজগুলোর শক্ত সংশ্লেষ (স্ফটিক)। এগুলো বালির দানার মতো ছোট থেকে গল্ফ বলের মতো বড় আকারে পরিবর্তিত হয়। কিডনিতে পাথর সাধারণত মূত্রের প্রবাহে শরীর ছেড়ে দেয়; যদি এরা পাস করার আগে তুলনামূলকভাবে বড় হয় (মিলিমিটারের ক্রমে), একটি মূত্রনালীর বাধা এবং মূত্রের সাথে প্রসারণ তীব্র ব্যথা হতে পারে যা সাধারণত ফ্ল্যাঙ্ক, তলপেট এবং কুঁচকিতে অনুভূত হয়। কিডনিতে পাথর পিত্তথলির পাথরের সাথে সম্পর্কিত নয়।
'''কেস স্টাডি -''' আমি ৩৪ সপ্তাহের গর্ভবতী ছিলাম যখন আমার প্রস্রাবে রক্ত দেখতে পেলাম। আমি তৎক্ষণাৎ আমার OBGYN-তে যাই যেখানে আমাকে বলা হয়, আমার মূত্রাশয়ের সংক্রমণ হয়েছে এবং অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হয়। পরের দিন সকালে আমি সবচেয়ে তীব্র ব্যথা অনুভব করি। আমাকে দ্রুত ER-তে নিয়ে যাওয়া হয় যেখানে আমাকে বলা হয় যে আমার কিডনিতে পাথর হয়েছে। ডাক্তাররা ব্যাখ্যা করেন যে আমি যতক্ষণ গর্ভবতী ছিলাম ততক্ষণ তারা কিছুই করতে পারবেন না। আমার জীবনের পরবর্তী ৩ সপ্তাহ তীব্র ব্যথা এবং একাধিক ব্যথানাশক দিয়ে ভরা ছিল। আমার সন্তান প্রসবের পর, CAT স্ক্যান করা হয় এবং আমাকে জানানো হয় যে আমার ৬টি কিডনিতে পাথর হয়েছে। সব পাথর বের করতে আমার আরও তিন সপ্তাহ সময় লেগেছে, যার মধ্যে সবচেয়ে বড় ৫ মিমি। পাথর পরীক্ষা করা হয় এবং আমাকে জানানো হয় যে আমার গর্ভাবস্থার কারণে আমার শরীরে ক্যালসিয়াম জমা হচ্ছে এবং এটিই কিডনিতে পাথরের কারণ। পাথর বের হওয়ার পর ৬ মাস ধরে আমার কিডনিতে ব্যথা অব্যাহত ছিল। আমি এখন কম ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবার খেয়ে জীবনযাপন করি এবং আশা করি যে আমার শরীরে আর কিডনিতে পাথর তৈরি হবে না।
'''পাইলোনফ্রাইটিস''' যখন রেনাল পেলভিস এবং ক্যালিসের সংক্রমণ, যাকে পাইলাইটিস বলা হয়, তখন কিডনির বাকী অংশগুলোকেও জড়িত করার জন্য ছড়িয়ে পড়ে, ফলাফলটি পাইলোনফ্রাইটিস। এটি সাধারণত মূত্রনালীর মাধ্যমে মলদ্বার অঞ্চল থেকে মল ব্যাকটেরিয়া এসচেরিচিয়া কোলাই ছড়িয়ে পড়ার ফলে ঘটে। গুরুতর ক্ষেত্রে, কিডনি ফুলে যায় এবং দাগ হয়, ফোড়া তৈরি হয় এবং রেনাল শ্রোণী পুঁজ দিয়ে পূর্ণ হয়। চিকিৎসা না করালে সংক্রামিত কিডনি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, তবে অ্যান্টিবায়োটিকের প্রশাসন সাধারণত সম্পূর্ণ নিরাময় অর্জন করে।
'''গ্লোমেরুলোনফ্রাইটিস''' গ্লোমেরুলারের প্রদাহ ইমিউনোলজিক অস্বাভাবিকতা, ওষুধ বা টক্সিন, ভাস্কুলার ডিসঅর্ডার এবং সিস্টেমিক রোগের কারণে হতে পারে। গ্লোমারুলোনফ্রাইটিস তীব্র, দীর্ঘস্থায়ী বা প্রগতিশীল হতে পারে। মূত্রে দুটি প্রধান পরিবর্তন গ্লোমারুলোনফ্রাইটিসের স্বতন্ত্র: প্রধান প্রোটিন হিসাবে অ্যালবামিনের সাথে হেমাটুরিয়া এবং প্রোটিনুরিয়া। জিএফআর (গ্লোমেরুলার পরিস্রাবণ হার) হ্রাস হওয়ায় মূত্রের পরিমাণও হ্রাস পায়। রেনাল ফেলিউর অলিগুরিয়ার সাথে যুক্ত (প্রতিদিন মূত্রের আউটপুট 400 মিলির কম)।
'''রেনাল ফেলিউর''' ইউরেমিয়া রেনাল ব্যর্থতার একটি সিন্ড্রোম এবং এতে রক্তের ইউরিয়া এবং ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। প্রাথমিকভাবে নির্ণয় করা হলে তীব্র রেনাল ব্যর্থতা বিপরীত হতে পারে। তীব্র রেনাল ব্যর্থতা গুরুতর হাইপোটেনশন বা গুরুতর গ্লোমেরুলার রোগের কারণে হতে পারে। ডায়াগনস্টিক পরীক্ষার মধ্যে রয়েছে বিইউএন এবং প্লাজমা ক্রিয়েটিনিন স্তর পরীক্ষা। রেনাল ফাংশন 25% এর কম হলে এটি দীর্ঘস্থায়ী রেনাল ব্যর্থতা বলে মনে করা হয়।
== ডায়াবেটিস ইনসিপিডাস ==
এটি ADH এর ঘাটতি বা হ্রাসের কারণে ঘটে। (DI) আক্রান্ত ব্যক্তি জলের সীমাবদ্ধতার মধ্যে তাদের প্রস্রাব ঘনীভূত করতে অক্ষম হন, ফলস্বরূপ তারা প্রতিদিন 3 থেকে 20 লিটার প্রস্রাব খালি করেন। (DI) এর দুটি রূপ রয়েছে, নিউরোজেনিক এবং নেফ্রোজেনিক। নেফ্রোজেনিক (DI) তে কিডনি ADH এর প্রতি সাড়া দেয় না। সাধারণত নেফ্রোজেনিক (DI) কিডনির প্রস্রাব ঘনীভূত করার ক্ষমতা এবং জলের ঘনত্বের ব্যাঘাত দ্বারা চিহ্নিত করা হয়। কারণটি জিনগত বৈশিষ্ট্য, ইলেক্ট্রোলাইট ব্যাধি, অথবা লিথিয়ামের মতো ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হতে পারে। নিউরোজেনিক (DI) তে, এটি সাধারণত হাইপোফাইসিসাল ট্র্যাক্টের কাছে মাথার আঘাতের কারণে ঘটে।
== মূত্রনালীর সংক্রমণ (ইউটিআই) ==
স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীদের দ্বারা দেখা যাওয়া ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের দ্বিতীয় সবচেয়ে সাধারণ ধরণ হল ইউটিআই। যেসব ব্যাকটেরিয়া মূত্রনালীর সংক্রমণের জন্য উপনিবেশ স্থাপন করে এবং সৃষ্টি করে, তার মধ্যে সবচেয়ে বড় হল এসচেরিচিয়া কোলাই। হাসপাতালের ভেতরে থাকা ক্যাথেটার এবং সোজা ক্যাথেটারাইজিং মূত্রনালীর সংক্রমণের সম্ভাবনা তৈরি করে। মহিলাদের জীবনে তিনটি ধাপ থাকে যা মূত্রনালীর সংক্রমণের প্রবণতা তৈরি করে, অর্থাৎ ঋতুস্রাব, সহবাসের মধ্যে হেরফের এবং মেনোপজ। তবে, পুরুষ এবং শিশুদের মধ্যে খুব কম সংখ্যক মূত্রনালীর সংক্রমণে আক্রান্ত হয়। পুরুষদের ক্ষেত্রে এটি সাধারণত প্রোস্টেট গ্রন্থির বৃদ্ধির কারণে হয় যা সাধারণত বয়স্ক পুরুষদের মধ্যে ঘটে। শিশুদের ক্ষেত্রে এটি মেয়েদের ক্ষেত্রে 3% থেকে 5% এবং ছেলেদের ক্ষেত্রে 1% হতে পারে। খৎনা না করা ছেলেদের ক্ষেত্রে খৎনা করা ছেলেদের তুলনায় মূত্রনালীর সংক্রমণ বেশি দেখা যায়। মেয়েদের ক্ষেত্রে এটি টয়লেট প্রশিক্ষণ শুরু হওয়ার ফলে হতে পারে। মূত্রনালীর সংক্রমণের কিছু প্রবণতার মধ্যে রয়েছে পারিবারিক ইতিহাস এবং মূত্রনালীর অস্বাভাবিকতা। নবজাতকদের ক্ষেত্রে মূত্রনালীর সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি দেখা যায় যখন ব্যাকটেরেমিয়া থাকে।
== ডায়ালাইসিস এবং কিডনি প্রতিস্থাপন ==
সাধারণত মানুষ মাত্র একটি কিডনি নিয়ে স্বাভাবিকভাবে বেঁচে থাকতে পারে। যখন কিডনির টিস্যুর কার্যকারিতা অনেক কমে যায়, তখনই কিডনির ব্যর্থতা দেখা দেয়। যদি কিডনির কার্যকারিতা ব্যাহত হয়, তাহলে বিভিন্ন ধরণের ওষুধ ব্যবহার করা হয়, অন্যগুলি নিষিদ্ধ। যদি চিকিৎসা শুরু করা হয়, তাহলে ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্তচাপের কারণে দীর্ঘস্থায়ী কিডনির ব্যর্থতাকে বিপরীত করা সম্ভব হতে পারে। যদি ক্রিয়েটিনিন ক্লিয়ারেন্স (কিডনির কার্যকারিতার একটি পরিমাপ) খুব কম হয়ে যায় ("শেষ পর্যায়ের কিডনির ব্যর্থতা"), অথবা যদি কিডনির কর্মহীনতার কারণে গুরুতর লক্ষণ দেখা দেয়, তাহলে ডায়ালাইসিস শুরু করা হয়। ডায়ালাইসিস একটি চিকিৎসা পদ্ধতি যা বিভিন্ন ধরণের সঞ্চালিত হয়, যেখানে রক্ত শরীরের বাইরে ফিল্টার করা হয়।
কিডনি প্রতিস্থাপন হলো শেষ পর্যায়ের কিডনি ব্যর্থতার একমাত্র চিকিৎসা। ডায়ালাইসিস হলো একটি সহায়ক চিকিৎসা। এটি উপযুক্ত অঙ্গের জন্য অনিবার্য অপেক্ষার সময় কাটানোর জন্য "সময় ক্রয়" করার একধরনের পদ্ধতি।
১৯৫৪ সালের ৪ মার্চ বোস্টনের পিটার বেন্ট ব্রিগহাম হাসপাতালে প্রথম সফল কিডনি প্রতিস্থাপনের ঘোষণা দেওয়া হয়। এই অস্ত্রোপচারটি করেছিলেন ডাঃ জোসেফ ই. মারে, যিনি এই কৃতিত্বের জন্য ১৯৯০ সালে চিকিৎসায় নোবেল পুরষ্কার পেয়েছিলেন।
কিডনি প্রতিস্থাপন দুই ধরণের: জীবিত দাতা প্রতিস্থাপন এবং মৃত দাতা (মৃত দাতা) প্রতিস্থাপন। যখন একজন জীবিত দাতার (সাধারণত একজন রক্তের সম্পর্কের আত্মীয়ের) কিডনি রোগীর শরীরে প্রতিস্থাপন করা হয়, তখন দাতার রক্তের গ্রুপ এবং টিস্যুর ধরণ রোগীর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ কিনা তা বিচার করতে হবে এবং দাতার স্বাস্থ্য নির্ধারণের জন্য ব্যাপক চিকিৎসা পরীক্ষা করাতে হবে। একজন মৃত দাতার অঙ্গ প্রতিস্থাপন করার আগে অঙ্গগুলি সুস্থ কিনা তা নির্ধারণের জন্য একাধিক চিকিৎসা পরীক্ষা করতে হয়। এছাড়াও, কিছু দেশে দাতার পরিবারকে অঙ্গ দানের জন্য সম্মতি দিতে হবে। উভয় ক্ষেত্রেই, নতুন অঙ্গ গ্রহীতাকে তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দমন করার জন্য ওষুধ খেতে হবে যাতে তাদের শরীর নতুন কিডনি প্রত্যাখ্যান করতে না পারে।
== পর্যালোচনা প্রশ্ন ==
; এই প্রশ্নগুলোর উত্তর এখানে পাওয়া যাবে
১. রক্ত পরীক্ষা করার সময় আমি ক্রিয়েটিনিনের একটি উচ্চ স্তর লক্ষ্য করি, আমি এটি থেকে অনুমান করতে পারি যে
: ক) ইউটিআই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে
: খ) ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা থাকে
: গ) কিডনি বিকল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে
: ঘ) কোনো ভুল নেই, এটাই স্বাভাবিক
২. কিডনিতে পানি নিঃসরণের সরাসরি নিয়ন্ত্রণ নিয়ন্ত্রিত হয়
: ক) অ্যান্টি-ডিউরেটিক হরমোন
: খ) মেডুলা অবলংগাটা
: গ) রক্তের প্লাজমা
: ঘ) রক্তে সোডিয়ামের পরিমাণ
৩. নেফ্রন
: ক) শরীর থেকে বর্জ্য দূর করা
: খ) রক্তের পরিমাণ এবং চাপ নিয়ন্ত্রণ করে
: গ) ইলেক্ট্রোলাইট এবং মেটাবোলাইটের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করুন
: ঘ) রক্তের পিএইচ নিয়ন্ত্রণ করে
: (D) উপরের সবগুলো
৪. আমি ডিহাইড্রেটেড হলে আমার শরীর বাড়বে
: ক) এটিপি
: খ) এডিপি
: গ) পাতলা মূত্র
: ঘ) এডিএইচ
৫. নেফ্রনের কোন অংশ রক্ত থেকে পানি, আয়ন ও পুষ্টি উপাদান দূর করে?
: ক) ভাসা রেক্তা
: খ) হেনলির লুপ
: গ) প্রক্সিমাল কনভোলিউটেড টিউবিউল
: ঘ) পেরিটিউবিউলার কৈশিক
: ঙ) গ্লোমেরুলাস
6. কিডনি নিচের কোনটির উপর সরাসরি প্রভাব ফেলে
: ক) রক্তচাপ
: খ) একজন ব্যক্তি কতটুকু পানি নির্গত করে
: গ) মোট রক্তের পরিমাণ
: ঘ) পিএইচ
: (D) উপরের সবগুলো
7. গ্লোমারুলাসের পদার্থগুলো বোম্যান্স ক্যাপসুলে প্রবেশ করে কেন?
: ক) বোম্যান্স ক্যাপসুলের চৌম্বকীয় চার্জ পদার্থকে আকর্ষণ করে
: খ) পদার্থগুলো সক্রিয়ভাবে বোম্যান্স ক্যাপসুলে স্থানান্তরিত হয়
: গ) গ্লোমেরুলাসের রক্তচাপ এত বেশি যে রক্তের বেশিরভাগ পদার্থ ক্যাপসুলে চলে যায়
: ঘ) ছোট সবুজ পুরুষরা তাদের রে বন্দুক দিয়ে জোর করে ঢুকিয়ে দেয়
৮. নলাকার নির্গমনে কী ঘটে?
: ক) বর্জ্যের মধ্যে মূত্রের বন্ধন তৈরি হয়
: খ) বর্জ্য টিউবিউল থেকে ছড়িয়ে পড়ে
: গ) বর্জ্য রক্ত থেকে দূরবর্তী জটিল টিউবিউলে চলে যায়
: ঘ) রক্তচাপ কিডনি নষ্ট করতে বাধ্য করে
9. কাউন্টারকারেন্ট এক্সচেঞ্জ সিস্টেম includes_________and_________।
: ক) গ্লোমেরুলাস এবং ম্যাকুলা ডেনসা
: খ) প্রক্সিমাল কনভলিউটেড টিউবিউল এবং দূরবর্তী কনভলিউটেড টিউবিউল
: গ) হেনলির লুপ এবং টিউবিউল সংগ্রহ
: ঘ) অ্যাফারেন্ট আর্টেরিওল এবং ইফারেন্ট আর্টেরিওল
: ঙ) মূত্রনালী ও মূত্রাশয়
10. মূত্র গঠনের প্রক্রিয়ায় নেফ্রনের লুপের কাজ হল-
: ক) পানির পুনঃশোষণ
: খ) পরিস্রাবণ উৎপাদন
: গ) দ্রবণের পুনঃশোষণ
: ঘ) দ্রবণের নিঃসরণ
11. কিডনির ছয়টি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার নাম লেখ।
== শব্দকোষ ==
'''অ্যান্টিডিউরেটিক:''' প্রস্রাব উৎপাদন হ্রাস বা হ্রাস অথবা এমন কোনও এজেন্ট যা প্রস্রাব নিঃসরণ কমিয়ে দেয়।
'''ক্যাথেটারাইজেশন:''' ক্যাথেটার হলো এমন একটি নল যা শরীরের গহ্বর, নালী বা শিরায় ঢোকানো যেতে পারে। ক্যাথেটারের মাধ্যমে তরল পদার্থ নিষ্কাশন বা ইনজেকশন করা যায় অথবা অস্ত্রোপচারের যন্ত্রের মাধ্যমে প্রবেশ করা যায়। ক্যাথেটার ঢোকানোর প্রক্রিয়া হল ক্যাথেটারাইজেশন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ক্যাথেটার হল একটি পাতলা, নমনীয় নল: একটি "নরম" ক্যাথেটার; কিছু ক্ষেত্রে, এটি একটি বৃহত্তর, কঠিন নল: একটি "কঠিন" ক্যাথেটার।
'''ডিহাইড্রেশন:''' শরীরের তরল অত্যধিক ক্ষতির ফলে অবস্থা।
'''ডায়াবেটিস:''' কিডনি ব্যর্থতার প্রাথমিক পর্যায় এবং সূত্রপাত দ্বারা চিহ্নিত একটি রোগের জন্য একটি সাধারণ শব্দ। এটি গ্রীক শব্দ ডায়াবেইন থেকে উদ্ভূত, যার আক্ষরিক অর্থ "পেরিয়ে যাওয়া" বা "সাইফন", যা ডায়াবেটিসের প্রধান লক্ষণগুলির মধ্যে একটি - অতিরিক্ত প্রস্রাব উৎপাদনের একটি উল্লেখ করে।
'''ডিউরেসিস:''' প্রচুর পরিমাণে মূত্রের নিঃসরণ ঘটায়।
'''মূত্রবর্ধক:''' মূত্র উত্পাদন বৃদ্ধিকারী এজেন্ট
'''এরিথ্রোপয়েটিন:''' অস্থি মজ্জার স্টেম সেলগুলোকে লাল রক্তকণিকা তৈরি করতে উদ্দীপিতকারী হরমোন।
'''তন্তুযুক্ত ক্যাপসুল:''' কিডনির আলগা সংযোগকারী টিস্যু
'''গ্লোমেরুলাস:''' কৈশিক টাফ্ট যা রেনাল সঞ্চালনের একটি অ্যাফারেন্ট আর্টেরিওল থেকে এর রক্ত সরবরাহ গ্রহণ করে।
'''গ্লুকোনোজেনেসিস:''' চর্বি বা প্রোটিন থেকে গ্লুকোজ উৎপাদনের চক্র; দীর্ঘ উপবাসের সময় কিডনি দ্বারা সঞ্চালিত হয়, প্রাথমিকভাবে লিভার দ্বারা গ্লুকোনিওজেনেসিস সঞ্চালিত হয়
'''জাক্সটাগ্লোমেরুলার (জেজি) কোষ:''' রেনিন-সিক্রেটিং কোষ যা ম্যাকুলা ডেনসা এবং রেনাল নেফ্রনের অ্যাফারেন্ট আর্টেরিওলগুলোর সংস্পর্শে থাকে।
'''জাক্সটাগ্লোমেরুলার অ্যাপারেটাস (জেজিএ):''' ম্যাকুলা ডেনসার সাথে সংযোগকারী জুক্সটাগ্লোমেরুলার কোষের একটি স্থান যেখানে রেনিন নিঃসৃত হয় এবং গ্লোমেরুলার পরিস্রাবণ হারের নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণের জন্য সেন্সর।
'''হেনলির / নেফ্রনের লুপ:''' ইউ-আকৃতির নল যা একটি অবরোহী লিম্ব এবং আরোহী লিম্ব নিয়ে গঠিত; প্রাথমিক ভূমিকা হলো লুপের চারপাশের টিস্যু ইন্টারস্টিটিয়ামে লবণকে কেন্দ্রীভূত করা
'''মেডুলারি পিরামিড বা রেনাল পিরামিড:''' কিডনিতে শঙ্কু আকৃতির অংশ।
'''মিকচারিশন:''' রেচনের আরেক নাম।
'''নেফ্রন:''' কিডনির মৌলিক কাঠামোগত এবং কার্যকরী ইউনিট; প্রধান কাজ হলো রক্ত ফিল্টার করে, যা প্রয়োজন তা পুনরায় শোষণ করে এবং বাকিগুলো মূত্র হিসাবে নির্গত করে পানি এবং দ্রবণীয় পদার্থগুলো নিয়ন্ত্রণ করা।
'''পোডোসাইটস:''' পরিস্রাবণ ঝিল্লি, ধনুকের ক্যাপসুলের ভিসারাল স্তরে
'''রেনাল ক্যালকুলি:''' কিডনিতে পাথর, কিডনির অভ্যন্তরে পাওয়া মূত্রে দ্রবীভূত খনিজগুলোর শক্ত স্ফটিকগুলো
'''রেনাল কর্টেক্স:''' কিডনির বাইরের অংশ
'''রেনাল লোব:''' প্রতিটি পিরামিড সম্পর্কিত ওভারলাইং কর্টেক্সের সাথে একত্রে থাকে।
'''রেনাল পেলভিস:''' একটি কেন্দ্রীয় স্থান বা গহ্বর যা মূত্রনালীর মাধ্যমে মূত্রথলিতে মূত্র প্রেরণ করে।
'''রেনিন:''' রক্তচাপ কমে গেলে কিডনির জাক্সটাগ্লোমেরুলার (জেজি) কোষ দ্বারা হরমোন নিঃসৃত হয়।
'''টিইউআরপি:''' ট্রান্সইউরেথ্রাল রিসেকশন অফ প্রোস্টেট TURP-এর সময়, প্রোস্টেটের যে অংশটি প্রস্রাবের প্রবাহকে বাধাগ্রস্ত করছে তা অপসারণের জন্য মূত্রনালীতে একটি যন্ত্র ঢোকানো হয়। এটি সাধারণত বিনাইন প্রোস্টেটিক হাইপারপ্লাসিয়া (বিপিএইচ) দ্বারা সৃষ্ট হয়। একটি TURP-এর জন্য সাধারণত হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন হয় এবং এটি একটি সাধারণ বা মেরুদণ্ডের অ্যানেস্থেটিক ব্যবহার করে করা হয়। এটি এখন বর্ধিত প্রোস্টেটের অংশ অপসারণের জন্য ব্যবহৃত সবচেয়ে সাধারণ অস্ত্রোপচার।
'''মূত্রনালী:''' একটি পেশীবহুল নল যা মূত্রাশয়কে শরীরের বাইরের সাথে সংযুক্ত করে
'''ইউরেটার:''' কিডনি থেকে মূত্রাশয়ে মূত্র নিষ্কাশনকারী দুটি নল
'''মূত্র:''' কিডনি দ্বারা উত্পাদিত তরল, মূত্রাশয়ে সংগ্রহ করা হয় এবং মূত্রনালীর মাধ্যমে নির্গত হয়
'''মূত্রথলি:''' একটি ফাঁকা, পেশীবহুল এবং বিচ্ছিন্ন বা ইলাস্টিক অঙ্গ। এটি শ্রোণী তলে থাকে।
'''রেচনতন্ত্র''': শরীরের একদল অঙ্গ যা রক্তপ্রবাহ থেকে অতিরিক্ত তরল এবং অন্যান্য পদার্থ পরিশোধন করার সাথে জড়িত।
== তথ্যসূত্র ==
* - গ্রাফ, ভ্যান ডি (2002)। "হিউম্যান অ্যানাটমি, ষষ্ঠ সংস্করণ"। নিউ ইয়র্ক: ম্যাকগ্রা-হিল।
* Mader, Sylvia S. (২০০৪)। ''হিউম্যান বায়োলজি''. নিউ ইয়র্ক: ম্যাকগ্রা-হিল।
* - স্মিথ, পিটার (1998)। ইন্টারনেট রেফারেন্স, ''[http://www.liv.ac.uk/~petesmif/teaching/1bds_mb/notes/homeo/kidney.htm%7C The Role of the Kidney]''। ক্লিনিকাল ডেন্টাল সায়েন্সেস বিভাগ, লিভারপুল বিশ্ববিদ্যালয়।
* - ম্যাককেন্স, ক্যাথরিন এল, হিউথার, স্যু ই (1994)। "প্যাথোফিজিওলজি: প্রাপ্তবয়স্কদের এবং শিশুদের মধ্যে রোগের জৈবিক ভিত্তি, দ্বিতীয় সংস্করণ"। মোসবি-ইয়ার বুক, ইনক।
ha0n45n1alktl3q5vsy3nljcw5h9n0y
ইন্দ্রিয়তন্ত্র/কম্পিউটার মডেল/ভারসাম্যতন্ত্র সিমুলেশন
0
24054
84703
83580
2025-06-17T23:52:39Z
MS Sakib
6561
84703
wikitext
text/x-wiki
{{Chapter navigation|অডিটরি_সিস্টেম_সিমুলেশন|সোমাটোসেন্সরি_সিস্টেম_সিমুলেশন|সেন্সরি_সিস্টেম}}
== ভেস্টিবুলার সিস্টেমের কম্পিউটার সিমুলেশন ==
=== সেমিসারকুলার ক্যানাল ===
==== কাপুলা ব্যতীত মডেল ====
[[File:CanalMechanics wo Cupula.svg |400 px|center | সরলীকৃত সেমিসারকুলার ক্যানাল, কাপুলা ছাড়াই।]]
চলুন আমরা সেমিসারকুলার ক্যানালের (SCC) যান্ত্রিক বিবরণ নিয়ে আলোচনা করি। আমরা নিচের বর্ণনায় খুব শক্ত এবং সরলীকৃত অনুমান করব। লক্ষ্য হল সেমিসারকুলার ক্যানালের প্রাথমিক যান্ত্রিক নীতিগুলি বোঝা।
প্রথম বড় সরলীকরণ হল, একটি সেমিসারকুলার ক্যানালকে একটি বৃত্তাকার নলের মতো ধরা হয়েছে যার “বাইরের” ব্যাসার্ধ R এবং “ভিতরের” ব্যাসার্ধ r। (যথাযথ হাইড্রো-মেকানিক্যাল বিশ্লেষণের জন্য দেখুন দামিয়ানো এবং র্যাবিট (১৯৯৬) এবং ওব্রিস্ট (২০০৫)। এই নলটি এন্ডোলিম্ফ দ্বারা পূর্ণ।
একটি নির্দিষ্ট স্থানাংক পদ্ধতিতে সেমিসারকুলার ক্যানালের অবস্থান <math> \vec n </math> ভেক্টর দ্বারা বর্ণনা করা যায়, যা ক্যানালের সমতলের উপর লম্ব। আমরা নিম্নলিখিত প্রতীকগুলো ব্যবহার করব:
:<math> \theta </math> নলের ঘূর্ণনের কোণ [রেডিয়ান]
:<math> \dot{\theta} \equiv \frac{d \theta}{dt} </math> নলের কৌণিক বেগ [রেড/সেকেন্ড]
:<math> \ddot{\theta} \equiv \frac{d^2 \theta}{dt^2} </math> নলের কৌণিক ত্বরণ [রেড/সেক²]
:<math> \phi </math> নলের ভিতরের এন্ডোলিম্ফের ঘূর্ণনের কোণ [রেড], এবং এটির টাইম ডেরিভেটিভ সমূহ
:<math> \delta = \theta - \phi </math> নল ও এন্ডোলিম্ফের মধ্যে আপেক্ষিক চলাচল [রেড]
উল্লেখ্য, এগুলো সবই স্কেলার ভেরিয়েবল। আমরা ব্যবহার করি যে নলের কৌণিক বেগকে মাথার প্রকৃত কৌণিক বেগ ভেক্টর <math> \vec \omega </math> কে ক্যানালের সমতলের উপর প্রক্ষেপ করেই প্রকাশ করা যায়:
:<math> \dot{\theta} = \vec \omega \cdot \vec n </math>
এন্ডোলিম্ফের চলাচল নির্ধারণ করতে, একটি মুক্ত ভাসমান পিস্টনের কথা চিন্তা করুন যার ঘনত্ব এন্ডোলিম্ফের সমান। এতে দুইটি বল কাজ করছে:
# জড়তা জনিত মুহূর্ত <math> I \ddot{\phi} </math>, যেখানে I হল এন্ডোলিম্ফের জড়তা।
# সান্দ্রতা জনিত মুহূর্ত <math> B \dot{\delta} </math>, যা নলের প্রাচীরে ঘর্ষণ থেকে উদ্ভূত।
এই দুটি বল থেকে গতি সমীকরণ দাঁড়ায়:
:<math> I \ddot{\phi} = B \dot{\delta} </math>
<math> \phi = \theta - \delta </math> বসিয়ে ও সমীকরণটি একত্র করে পাই:
:<math> \dot{\theta} = \dot{\delta} + \frac{B}{I} \delta . </math>
এবার ধরা যাক একটি ধাপে কৌণিক বেগ <math> \dot{\theta}(t) </math> এর মান ধ্রুব <math> \omega </math>। এতে সরণ হবে:
:<math> \delta = \frac{I}{B} \omega \cdot (1-e^{-\frac{B}{I}t}) </math>
এবং যদি <math> t \gg \frac{I}{B} </math> হয়, তাহলে:
:<math> \delta \approx \frac{I}{B} \omega </math>
এখন, সময় ধ্রুবক <math> T_1 \equiv \frac{I}{B} </math> নির্ণয় করি। পাতলা নলের ক্ষেত্রে <math> r \ll R </math> হলে জড়তা প্রায় দাঁড়ায়:
:<math> I = m l^2 \approx 2 \rho \pi^2 r^2 R^3 . </math>
পয়সুইল-হ্যাগেন সমীকরণ অনুসারে, পাতলা নলে ল্যামিনার প্রবাহের বল F:
:<math> F = \frac{8 \bar{V} \eta l}{r^2} </math>
যেখানে <math> \bar{V} = r^2 \pi v </math> প্রতি সেকেন্ডে প্রবাহিত আয়তন, <math> \eta </math> হল সান্দ্রতা এবং <math> l = 2 \pi R </math> হল নলের দৈর্ঘ্য।
যখন <math> M = F \cdot R </math> এবং আপেক্ষিক কৌণিক বেগ <math> \Omega = \frac{v}{R} </math> বসাই, তখন পাই:
:<math> B = \frac{M}{\Omega} = 16 \eta \pi ^2 R^3 </math>
শেষে সময় ধ্রুবক <math> T_1 </math>:
:<math> T_1 = \frac{I}{B} = \frac{\delta r^2}{8 \eta} </math>
মানব ভারসাম্য ব্যবস্থায় পরীক্ষামূলক মান বসিয়ে <math> T_1 </math> হয় প্রায় 0.01 সেকেন্ড। এটি এত ছোট যে পূর্বের সমীকরণে <math> \approx </math> এর পরিবর্তে "=" বসানো যায়। তখন সিস্টেমের গেইন দাঁড়ায়:
:<math> G \equiv \frac{\delta}{\omega} = \frac{I}{B} = T_1 </math>
==== কাপুলা সহ মডেল ====
[[File:CanalMechanics with Cupula.svg |250 px|thumb | center | কাপুলার প্রভাব।]]
এখন পর্যন্ত আলোচনায় SCC-তে কাপুলার ভূমিকা বাদ ছিল: কাপুলা একটি স্থিতিস্থাপক পর্দা হিসেবে কাজ করে যা কৌণিক ত্বরণে সরে যায়। এটি সিস্টেমকে তার বিশ্রাম অবস্থানে ফিরিয়ে আনে। এর স্থিতিস্থাপকতা গতি সমীকরণে একটি অতিরিক্ত টার্ম যোগ করে:
<math> \ddot{\theta} = \ddot{\delta} + \frac{B}{I} \dot{\delta} + \frac{K}{I} \delta </math>
এ ধরনের ডিফারেনশিয়াল সমীকরণ সমাধানের একটি কার্যকর পদ্ধতি হল ''লাপ্লাস ট্রান্সফরমেশন''। এতে:
:<math> \frac{dx(t)}{dt} \xrightarrow{Laplace Transform} s \cdot X(s) - x(0) </math>
যেখানে x(0) প্রাথমিক অবস্থা, যা প্রায়শই শূন্য ধরা যায়। তখন,
:<math> s^2 \tilde{\theta} = s^2 \tilde{\delta} + \frac{B}{I} s \tilde{\delta} + \frac{K}{I} \tilde{\delta} </math>
যেখানে "~" লাপ্লাস ট্রান্সফর্ম নির্দেশ করে। <math> T_1 </math> পূর্বোক্ত ও <math> T_2 = \frac{B}{K} </math> বসিয়ে পাই:
:<math> \frac{ \tilde{\delta} }{ \tilde{\theta} } = \frac{T_1 s^2}{T_1 s^2 + s + \frac{1}{T_2}} </math>
মানুষের ক্ষেত্রে, <math> T_2 = B/K \approx 5 </math> সেকেন্ড।
ট্রান্সফার ফাংশনের পোল নির্ণয়ের জন্য ডিনোমিনেটর শূন্য করে:
:<math> s_{1,2} = \frac{1}{T_1} \Big(-1 \pm \sqrt{1-4\frac{T_1}{T_2}} \Big) </math>
যেহেতু <math> T_2 \gg T_1 </math>, এবং
:<math> \sqrt{1-x} \approx 1 - \frac{x}{2} (x \ll 1) </math>
তাই,
:<math> s_1 \approx - \frac{1}{T_1},\quad s_2 \approx - \frac{1}{T_2} </math>
আমরা সচরাচর কাপুলা সরণ <math> \delta </math> কে মাথার ঘূর্ণনের বেগ <math> \dot{\theta} \equiv s \tilde{\theta} </math> এর ফাংশন হিসেবে দেখি:
:<math> \frac{\tilde{\delta}}{s \tilde{\theta}}(s) = \frac{T_1 T_2 s}{(T_1 s +1)(T_2 s + 1)} </math>
সাধারণ মাথার গতিবিধির জন্য (0.2 Hz < f < 20 Hz), সিস্টেম গেইন প্রায় ধ্রুব। অর্থাৎ কাপুলা সরণ কৌণিক বেগের সমানুপাতিক।
[[File:SemicirularCanals BodePlot.jpg |400 px | center | thumb | কাপুলা সরণের বডে প্লট – মাথার বেগের ফাংশন হিসেবে;
T1 = 0.01 সেকেন্ড, T2 = 5 সেকেন্ড, এবং প্রায় 0 গেইনের জন্য (T1+T2)/(T1*T2) দ্বারা স্কেলিং।]]
==== নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা ====
রৈখিক, সময়-অপরিবর্তনশীল (LTI) সিস্টেমে ইনপুট ও আউটপুটের সম্পর্ক ফ্রিকোয়েন্সি ডোমেইনে:
:<math> Out(s) = G(s)*In(s) </math>
যেখানে ট্রান্সফার ফাংশন <math> G(s) </math> হল:
:<math>G(s)=\frac{num(s)}{den(s)}=\frac{n(0)*{{s}^{0}}+n(1)*{{s}^{1}}+n(2)*{{s}^{2}}+...}{d(0)*{{s}^{0}}+d(1)*{{s}^{1}}+d(2)*{{s}^{2}}+...}</math>
অর্থাৎ নিউমেরেটর ও ডিনোমিনেটরের সহগগুলোই সিস্টেমকে নির্ধারণ করে। এই রূপটি ব্যবহার করে বিভিন্ন সফটওয়্যারে সিমুলেশন করা যায়।
উদাহরণস্বরূপ, ৭ সেকেন্ড টাইম কনস্ট্যান্টের একটি লো-পাস ফিল্টারের ট্রান্সফার ফাংশন:
:<math>G(s)=\frac{1}{7s+1}</math>
এটি নিম্নরূপে সিমুলেট করা যায়:
= সিমুলিংক দিয়ে =
[[File:Simulink Simulation of Lowpass.png|500px|center|Simulink ব্যবহার করে লো-পাস ফিল্টারের স্টেপ-রেসপন্স সিমুলেশন।]]
===== কমান্ডলাইন =====
কমান্ডলাইনে ম্যাটল্যাব -এর ''কন্ট্রোল সিস্টেম টুলবক্স'' বা পাইথনের SciPy-এর ''সংকেত'' মডিউল ব্যবহার করা যায়:
[[ম্যাটল্যাব]] কন্ট্রোল সিস্টেম টুলবক্স:
<syntaxhighlight lang="matlab">
% ট্রান্সফার ফাংশন সংজ্ঞা
num = [1];
tau = 7;
den = [tau, 1];
mySystem = tf(num,den)
% ইনপুট স্টেপ তৈরি
t = 0:0.1:30;
inSignal = zeros(size(t));
inSignal(t>=1) = 1;
% সিমুলেশন ও ফলাফল প্রদর্শন
[outSignal, tSim] = lsim(mySystem, inSignal, t);
plot(t, inSignal, tSim, outSignal);
</syntaxhighlight>
===[[পাইথন]] - SciPy:===
<syntaxhighlight lang="python">
প্রয়োজনীয় প্যাকেজ ইম্পোর্ট করি
mp হিসাবে ss আমদানি matplotlib.pylab হিসাবে np আমদানি scipy.signal হিসাবে numpy আমদানি করুন
ট্রান্সফার ফাংশন সংজ্ঞায়িত করি
num = [1] # ল্যাপ্লাস রূপে লঘুগামী পলিনোমিয়াল (উপরের অংশ) tau = 7 # টাইম কনস্ট্যান্ট den = [tau, 1] # ল্যাপ্লাস রূপে ডিনোমিনেটর (নিচের অংশ): tau*s + 1 mySystem = ss.lti(num, den) # সিস্টেম অবজেক্ট তৈরি
ইনপুট সিগন্যাল তৈরি করি (স্টেপ ইনপুট, t >= 1 এ 1 হয়ে যায়)
t = np.arange(0,30,0.1) inSignal = np.zeros(t.size) inSignal[t>=1] = 1
সিমুলেশন এবং আউটপুট সিগন্যাল প্লট করি
tout, outSignal, xout = ss.lsim(mySystem, inSignal, t) mp.plot(t, inSignal, tout, outSignal) mp.show() </syntaxhighlight>
এই কোডে আমরা যেটা দেখতে পাচ্ছি তা হলো — একটি ফার্স্ট-অর্ডার সিস্টেম, যার টাইম কনস্ট্যান্ট ৭ সেকেন্ড, কীভাবে একটি স্টেপ ইনপুটের প্রতিক্রিয়ায় রেসপন্ড করে। আউটপুট ধীরে ধীরে ইনপুটের দিকে পৌঁছায়, ঠিক যেমনটি আমরা একটি লো-পাস ফিল্টার বা ক্যানাল-রেসপন্স মডেলিং-এ দেখি।
===অটোলিথ===
এবার অটোলিথ অঙ্গগুলোর বলবিদ্যার দিকে নজর দেওয়া যাক। যেহেতু এগুলো জটিল, সান্দ্র-স্থিতিস্থাপক পদার্থ দিয়ে তৈরি এবং তাদের বাঁকানো আকৃতি রয়েছে, তাই এগুলোর বলবিদ্যা বিশ্লেষণমূলক পদ্ধতিতে বর্ণনা করা যায় না। তবে, এদের গতি সীমিত উপাদান কৌশল ব্যবহার করে সংখ্যাগতভাবে অনুকরণ করা যায়। এই পদ্ধতিতে বিবেচ্য আয়তনকে বহু ছোট ছোট আয়তনে ভাগ করে প্রতিটি উপাদানের জন্য পদার্থবিজ্ঞানের সমীকরণগুলোকে বিশ্লেষণযোগ্য ফাংশনের মাধ্যমে প্রায়োগিকভাবে প্রকাশ করা হয়।
[[File: FE Simulations Saccule.jpg | 400 px | thumb | FE-অনুকরণ: ছোট ছোট সসীম উপাদান ব্যবহার করে একটি বলবিদ্যাগত মডেল তৈরি করা হয়েছে; এখানে উদাহরণস্বরূপ স্যাকুল।]]
এখানে আমরা শুধুমাত্র সান্দ্র-স্থিতিস্থাপক অটোলিথ পদার্থগুলোর জন্য প্রযোজ্য পদার্থবিজ্ঞানের সমীকরণ উপস্থাপন করব।
প্রতিটি স্থিতিস্থাপক পদার্থের গতি কশির গতি-সমীকরণ মেনে চলে:
<math> \rho \frac{\partial^2 u_i}{\partial t^2} = \rho B_i + \sum_{j} \frac{\partial T_{ij}}{\partial x_j} </math>
যেখানে <math> \rho </math> পদার্থের কার্যকর ঘনত্ব, <math> u_i </math> i-অক্ষ বরাবর স্থানচ্যুতি, <math> B_i </math> হল ভলিউম বলের i-উপাদান, এবং <math> T_{ij} </math> হল কশির বিকৃতি টেনসর -এর উপাদান। <math> x_j </math> হল স্থানাঙ্ক।
রৈখিক স্থিতিস্থাপক, সমদিশ পদার্থের জন্য, ''কশির বিকৃতি টেনসর'' প্রকাশ করা যায় এইভাবে:
:<math> T_{ij} = \lambda e \delta_{ij} + 2 \mu E_{ij} </math>
যেখানে <math> \lambda </math> ও <math> \mu </math> হল ''লামি ধ্রুবক''; <math> \mu </math> সরণ গুণাঙ্ক। <math> e = div(\vec u) </math>, এবং <math> E_{ij} </math> হল চাপ টেনসর:
:<math> E_{ij} = \frac{1}{2} \Big( \frac{\partial u_i}{\partial x_j} + \frac{\partial u_j}{\partial x_i} \Big). </math>
এটি আমাদের নিয়ে যায় নাভিয়ের গতি-সমীকরণে:
:<math> \rho \frac{\partial ^2 u_i}{\partial t^2} = \rho B_i + (\lambda + \mu) \frac{\partial e}{\partial x_i} + \mu \sum_{j} \frac{\partial ^2 u_i}{\partial x_j^2} </math>
এই সমীকরণটি কেবলমাত্র বিশুদ্ধভাবে স্থিতিস্থাপক, সমদিশ পদার্থের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য এবং সসীম উপাদান কৌশল ব্যবহার করে সমাধান করা যায়। এই সমীকরণে যেসব বলবিদ্যাগত পরামিতি ব্যবহৃত হয়েছে, সেগুলো নির্ধারণ করার একটি সাধারণ পদ্ধতি হল: যদি একটি নলাকার নমুনাকে টান দিয়ে প্রসারিত করা হয়, তাহলে ''ইয়াং এর সহগ E'' দৈর্ঘ্যের পরিবর্তন নির্দেশ করে, এবং ''পয়সন অনুপাত <math> \nu </math>'' ব্যাসের হ্রাস নির্দেশ করে। লামি ধ্রুবক <math> \lambda </math> ও <math> \mu </math> E ও <math> \nu </math> এর সঙ্গে সম্পর্কিত:
:<math> E = \frac{\mu (3 \lambda + 2 \mu)}{\lambda + \mu} </math>
এবং
:<math> \nu = \frac{\lambda}{2(\lambda + \mu)} </math>
=== কেন্দ্রীয় ভেস্টিবুলার প্রক্রিয়াকরণ ===
ভেস্টিবুলার তথ্যের কেন্দ্রীয় প্রক্রিয়াকরণ স্থানিক অবস্থান ও গতি অনুধাবনে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলে। ব্রেইনস্টেমে এই তথ্য প্রক্রিয়াকরণ প্রায়ই নিয়ন্ত্রণ-তন্ত্র সরঞ্জামের মাধ্যমে দক্ষতার সাথে মডেল করা যায়। একটি নির্দিষ্ট উদাহরণ হিসেবে, আমরা দেখাব কীভাবে ''ভেলোসিটি স্টোরেজ'' এর প্রভাব মডেল করা যায়।
==== ভেলোসিটি স্টোরেজ ====
''ভেলোসিটি স্টোরেজ'' ধারণাটি নিম্নলিখিত পরীক্ষালব্ধ ফলাফলের উপর ভিত্তি করে: যখন আমরা পৃথিবী-উল্লম্ব অক্ষ বরাবর দীর্ঘস্থায়ী ঘূর্ণনের পর হঠাৎ থেমে যাই, তখন কাপুলা হ্রাসপ্রাপ্ত ঘূর্ণনের কারণে বেঁকে যায়, কিন্তু প্রায় ৫ সেকেন্ড সময় ধীরে ধীরে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে। তবে, ঘূর্ণনের অনুভূতি আরও অনেকক্ষণ স্থায়ী হয়, সাধারণত ১৫ থেকে ২০ সেকেন্ড সময় ধরে ধীরে ধীরে হ্রাস পায়।
[[File:Vestibular StepResponse.png|thumb|400px|ভেস্টিবুলার মডেলিং: নীল রেখাটি কাপুলার প্রতিক্রিয়া নির্দেশ করে, যা একটি উচ্চ-পাস ছাঁকনি দ্বারা ৫ সেকেন্ড সময় ধ্রুবকে মডেল করা হয়েছে। সবুজ রেখাটি ঘূর্ণনের একটি অভ্যন্তরীণ অনুমান নির্দেশ করে, যা একটি নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া লুপে কাপুলা প্রতিক্রিয়ার অভ্যন্তরীণ মডেলের উপর ভিত্তি করে গেইন ফ্যাক্টর ২ সহ পাওয়া যায়।]]
সংযুক্ত চিত্রে, অর্ধবৃত্তাকার ক্যানালের ঘূর্ণন উদ্দীপনায় (ω) প্রতিক্রিয়া ট্রান্সফার ফাংশন ''C'' দ্বারা মডেল করা হয়েছে, যা এখানে একটি ৫ সেকেন্ড সময় ধ্রুবকবিশিষ্ট একটি সাধারণ উচ্চ-পাস ছাঁকনি। (ক্যানালের প্রতিক্রিয়া কাপুলার বাঁক এবং প্রায় আনুপাতিক নিউরাল ফায়ারিং রেট দ্বারা নির্ধারিত হয়)। এই সময় ধ্রুবকের বৃদ্ধি মডেল করতে, আমরা ধরে নিই যে কেন্দ্রীয় ভেস্টিবুলার সিস্টেমের একটি ''অভ্যন্তরীণ মডেল'' আছে ক্যানালের ট্রান্সফার ফাংশনের, <math>\hat{C}</math>। এই অভ্যন্তরীণ মডেলের ভিত্তিতে, ঘূর্ণনের অভ্যন্তরীণ অনুমানের প্রত্যাশিত ফায়ারিং রেট, <math>\hat{\omega}</math>, প্রকৃত ফায়ারিং রেটের সঙ্গে তুলনা করা হয়। গেইন ফ্যাক্টর ''k'' = ২ নিলে, মডেলটির আউটপুট যথাযথভাবে সময় ধ্রুবকের এই বৃদ্ধিকে প্রতিফলিত করে। সংশ্লিষ্ট পাইথন কোডটি পাওয়া যাবে এখানে:<ref> {{cite web | title = Vestibular Processing: Simulation of the Velocity Storage [Python] | url = http://work.thaslwanter.at/CSS/Code/vestibular_feedback.py | author = Thomas Haslwanter | year = 2013 }}</ref>
উল্লেখযোগ্য যে, এই প্রতিক্রিয়া লুপের জন্য শারীরবৃত্তীয় ব্যাখ্যাও রয়েছে: আমরা জানি যে বাম ও ডান ভেস্টিবুলার নিউক্লিয়াসগুলোর মধ্যে শক্তিশালী সংযোগ রয়েছে। যদি এই সংযোগগুলি বিচ্ছিন্ন করা হয়, তাহলে ঘূর্ণনের অনুভূতির সময় ধ্রুবক হ্রাস পেয়ে অর্ধবৃত্তাকার ক্যানালের পারিপার্শ্বিক সময় ধ্রুবকের সমান হয়ে যায়।
[[File:Feedback_StateEstimation.png|thumbnail|কেন্দ্রীয় ভেস্টিবুলার প্রক্রিয়াকরণ প্রায়ই নিয়ন্ত্রণ-তন্ত্র মডেল দ্বারা বর্ণনা করা যায়। এখানে "ওমেগা" হল মাথার ঘূর্ণনের হার, "C" হল অর্ধবৃত্তাকার ক্যানালের ট্রান্সফার ফাংশন, এবং "k" একটি সাধারণ গেইন ফ্যাক্টর। "হ্যাট"-যুক্ত ভেরিয়েবলগুলো অভ্যন্তরীণ অনুমান নির্দেশ করে।]]
গাণিতিকভাবে, উচ্চ গেইনযুক্ত নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া একটি আকর্ষণীয় বৈশিষ্ট্য প্রদর্শন করে। এটি নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া লুপে প্রায় ট্রান্সফার ফাংশনকে উল্টে দিতে পারে: যদি ''k>>1'' এবং যদি ক্যানালের ট্রান্সফার ফাংশনের অভ্যন্তরীণ মডেলটি প্রকৃত ফাংশনের কাছাকাছি হয়, তাহলে ঘূর্ণনের অনুমানকৃত মান প্রকৃত মানের সমান হয়।
<math>\begin{align}
& \hat{\omega }=(\omega C-\hat{\omega }\hat{C})k \\
& \hat{\omega }(1+\hat{C}k)=\omega Ck \\
& \frac{{\hat{\omega }}}{\omega }=\frac{C}{1/k+\hat{C}}\,\,\xrightarrow[if\,C\approx \hat{C}]{k>>1}1
\end{align}</math>
===তথ্যসূত্র===
{{reflist}}
kj3w4khu6pxavn8cjcod4ei1htq4j79
রন্ধনপ্রণালী:পেঁয়াজের পায়েস
104
24503
84788
84329
2025-06-18T07:42:32Z
Mehedi Abedin
7113
84788
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = মিষ্টান্ন
| পরিবেশন = কমপক্ষে ৪-৫ জন।
| তৈরির সময় = ৪৫–৫০ মিনিট
| কষ্টসাধ্য = 5
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''পেঁয়াজের পায়েস'''</big></center>
পেঁয়াজের পায়েস বা পেঁয়াজ পরমান্ন একটি অদ্ভুত ও অভিনব বাঙালি মিষ্টান্ন যা সঠিকভাবে তৈরি করলে অত্যন্ত সুস্বাদু ও পুষ্টিকর হয়। বাঙালির খাদ্য বৈচিত্র্যের ইতিহাসে ঠাকুর বাড়ির রান্নার বিশেষ স্থান রয়েছে। সেই ঠাকুরবাড়ির হেঁশেলেরই একটি অনন্য পদ ছিল পেঁয়াজের পায়েস। হেমেন্দ্রনাথ ঠাকুরের কন্যা প্রজ্ঞাসুন্দরী দেবী তাঁর বই ''আমিষ ও নিরামিষ আহার'' বইটিতে ঠাকুরবাড়ির সদস্যদের রান্নার অভিনব সব পদ নথিভুক্ত করেছিলেন। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আবদারে মৃণালিনী দেবী বিচিত্র সব পদ বানাতেন যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য এই পেঁয়াজ পরমান্ন। পেঁয়াজ সাধারণত ঝাল রান্নার উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হলেও ঠাকুর পরিবারে এটি মিষ্টান্ন তৈরিতেও ব্যবহৃত হত। ধারণা করা হয়, ঠাকুরবাড়ির রাঁধুনিরা স্বাদে বৈচিত্র্য আনার জন্য পেঁয়াজকে দুধ ও গুড়ের সঙ্গে মিশিয়ে একটি নতুন ধরনের পায়েস তৈরি করেছিলেন। এই বিশেষ রান্নাটি সময়ের সঙ্গে জনপ্রিয় হয় এবং এখনও অনেকে ঠাকুরবাড়ির ঐতিহ্য হিসেবে একে সংরক্ষণ করে রেখেছেন।
== উপকরণ ==
{|class="wikitable"
! উপকরণ !! পরিমাণ
|-
|সাধারণ পেঁয়াজ বা সাদা পেঁয়াজ || ১টি মাঝারি আকারের
|-
|দুধ || ১ লিটার
|-
|গুড় বা চিনি || ১ কাপ (স্বাদ অনুযায়ী)
|-
|ঘি || ৫-৬ টেবিল চামচ
|-
|এলাচ || ২-৩ টি
|-
|তেজপাতা || ২ টি
|-
|দারুচিনি || ৩ টি
|-
|পেস্তা || ২৫ গ্রাম
|-
|কাজু ||২৫ গ্রাম
|-
|কিশমিশ ||২৫ গ্রাম
|-
|আমন্ড ||২৫ গ্রাম
|-
|}
== রন্ধনপ্রণালী ==
#প্রথমেই পেঁয়াজের খোসা ছাড়িয়ে সেটাকে কেটে পেঁয়াজের আবরণগুলো ছাড়িয়ে নিতে হবে।
#পেঁয়াজ সেদ্ধ করে তারপর ছেঁকে আরও একবার জলে ভালকরে ধুয়ে নিতে হবে যাতে পেঁয়াজের ঝাঁঝালো গন্ধটা চলে যায়।
#এবার একটি পাত্রে দুধ গরম করতে বসান।
#আরেকটা কড়াইতে ঘি গরম করে তাতে তেজপাতা, এলাচ, কাজু, দারুচিনি, কিশমিশ, পেস্তা আর আমন্ড দিয়ে সেটা হালকা করে ভেজে তুলে নিন।
#এবার ওই কড়াইতেই সেদ্ধ করে রাখা পেঁয়াজের টুকরোগুলো দিয়ে সেটাও ভেজে নিতে হবে।
#এবার ফুটতে থাকা দুধের মধ্যে ভাজা পেঁয়াজ, পরিমাণমতো গুড় বা চিনি আর ভেজে তুলে রাখা কাজু, কিশমিশ, পেস্তা ও আমন্ডের অর্ধেক পরিমান মিশিয়ে ভাল করে নাড়াচাড়া করুন।
#দুধ ঘন হওয়া অবধি রান্না করুন।<span style=color:red;><center>'''পায়েস ঠাণ্ডা হলে একটা বাটিতে পায়েসটা তুলে নিয়ে উপর বাকি কাজু, কিশমিশ, পেস্তা আর আমন্ড ছড়িয়ে পরিবেশন করুন'''</center></span>
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:মিষ্টান্ন]]
[[Category:ঐতিহ্যবাহী রেসিপি]]
7oblqevevxb5jbfrum5t9x5320i1sfg
84789
84788
2025-06-18T07:43:24Z
Mehedi Abedin
7113
84789
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = মিষ্টান্ন
| পরিবেশন = কমপক্ষে ৪-৫ জন।
| তৈরির সময় = ৪৫–৫০ মিনিট
| কষ্টসাধ্য = 5
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''পেঁয়াজের পায়েস'''</big></center>
পেঁয়াজের পায়েস বা পেঁয়াজ পরমান্ন একটি অদ্ভুত ও অভিনব বাঙালি মিষ্টান্ন যা সঠিকভাবে তৈরি করলে অত্যন্ত সুস্বাদু ও পুষ্টিকর হয়। বাঙালির খাদ্য বৈচিত্র্যের ইতিহাসে ঠাকুর বাড়ির রান্নার বিশেষ স্থান রয়েছে। সেই ঠাকুরবাড়ির হেঁশেলেরই একটি অনন্য পদ ছিল পেঁয়াজের পায়েস। হেমেন্দ্রনাথ ঠাকুরের কন্যা প্রজ্ঞাসুন্দরী দেবী তাঁর বই ''আমিষ ও নিরামিষ আহার'' বইটিতে ঠাকুরবাড়ির সদস্যদের রান্নার অভিনব সব পদ নথিভুক্ত করেছিলেন। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আবদারে মৃণালিনী দেবী বিচিত্র সব পদ বানাতেন যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য এই পেঁয়াজ পরমান্ন। এই বিশেষ রান্নাটি সময়ের সঙ্গে জনপ্রিয় হয় এবং এখনও অনেকে ঠাকুরবাড়ির ঐতিহ্য হিসেবে একে সংরক্ষণ করে রেখেছেন।
== উপকরণ ==
{|class="wikitable"
! উপকরণ !! পরিমাণ
|-
|সাধারণ পেঁয়াজ বা সাদা পেঁয়াজ || ১টি মাঝারি আকারের
|-
|দুধ || ১ লিটার
|-
|গুড় বা চিনি || ১ কাপ (স্বাদ অনুযায়ী)
|-
|ঘি || ৫-৬ টেবিল চামচ
|-
|এলাচ || ২-৩ টি
|-
|তেজপাতা || ২ টি
|-
|দারুচিনি || ৩ টি
|-
|পেস্তা || ২৫ গ্রাম
|-
|কাজু ||২৫ গ্রাম
|-
|কিশমিশ ||২৫ গ্রাম
|-
|আমন্ড ||২৫ গ্রাম
|-
|}
== রন্ধনপ্রণালী ==
#প্রথমেই পেঁয়াজের খোসা ছাড়িয়ে সেটাকে কেটে পেঁয়াজের আবরণগুলো ছাড়িয়ে নিতে হবে।
#পেঁয়াজ সেদ্ধ করে তারপর ছেঁকে আরও একবার জলে ভালকরে ধুয়ে নিতে হবে যাতে পেঁয়াজের ঝাঁঝালো গন্ধটা চলে যায়।
#এবার একটি পাত্রে দুধ গরম করতে বসান।
#আরেকটা কড়াইতে ঘি গরম করে তাতে তেজপাতা, এলাচ, কাজু, দারুচিনি, কিশমিশ, পেস্তা আর আমন্ড দিয়ে সেটা হালকা করে ভেজে তুলে নিন।
#এবার ওই কড়াইতেই সেদ্ধ করে রাখা পেঁয়াজের টুকরোগুলো দিয়ে সেটাও ভেজে নিতে হবে।
#এবার ফুটতে থাকা দুধের মধ্যে ভাজা পেঁয়াজ, পরিমাণমতো গুড় বা চিনি আর ভেজে তুলে রাখা কাজু, কিশমিশ, পেস্তা ও আমন্ডের অর্ধেক পরিমান মিশিয়ে ভাল করে নাড়াচাড়া করুন।
#দুধ ঘন হওয়া অবধি রান্না করুন।<span style=color:red;><center>'''পায়েস ঠাণ্ডা হলে একটা বাটিতে পায়েসটা তুলে নিয়ে উপর বাকি কাজু, কিশমিশ, পেস্তা আর আমন্ড ছড়িয়ে পরিবেশন করুন'''</center></span>
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:মিষ্টান্ন]]
[[Category:ঐতিহ্যবাহী রেসিপি]]
9rs7z1fn8wdhik4lcjsjeryi9w24qdm
রন্ধনপ্রণালী:গোকুল পিঠে
104
24651
84790
79011
2025-06-18T07:46:33Z
Mehedi Abedin
7113
84790
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = মিষ্টান্ন
| পরিবেশন = কমপক্ষে ৫-৬ জন।
| তৈরির সময় = ১ ঘণ্টা
| কষ্টসাধ্য = ৪
|চিত্র = GokulPithe-Home-Kolkata-West Bengal-001.jpg
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''গোকুল পিঠে'''</big></center>
গোকুল পিঠে বা গোকুল পিঠা এক ধরনের পিঠা যা বাংলাদেশ এবং ভারতের পশ্চিমবাংলার প্রচলিত মিষ্টান্ন পদ। গোকুল পিঠে মধ্যযুগের সময় থেকে বাংলায় সংস্কৃতির সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে। এটি বাঙালী সমাজে প্রচলিত পিঠা সমূহের অন্যতম। জন্মাষ্টমী ও সংক্রান্তি উৎসবের সময় এটি প্রধানত বানানো হয়ে থাকে। ক্ষীর বা নারকোল ও ক্ষীরের মিশ্রণ এই পিঠার পুর হিসেবে ব্যবহার করা হয়। পুর ভরার পর গোকুল পিঠে গরম তেলে ভাজা হয় এবং পরে চিনির রসে ডুবিয়ে পরিবেশন করা হয়।
==উপকরন==
{|class="wikitable"
! উপকরণ !! পরিমাণ
|-
|নারকেল কোড়া || ১ কাপ
|-
|খোয়া ক্ষীর || ১/২ কাপ
|-
|চিনি || ১/২ কাপ
|-
|এলাচ গুঁড়ো || ১/৪ চা চামচ
|-
|ময়দা || ১ কাপ
|-
|সুজি || ২ টেবিল চামচ
|-
|চালের গুঁড়ো || ২ টেবিল চামচ
|-
|বেকিং সোডা || এক চিমটে
|-
|জল || প্রয়োজনমতো
|-
|তেল/ঘি || ভাজার জন্য
|-
|চিনি || ১ কাপ
|-
|জল || ১/২ কাপ
|-
|এলাচ || ২টি
|-
|গোলাপ জল || ১/২ চা চামচ (ঐচ্ছিক)
|-
|}
== রন্ধনপ্রণালী ==
# গোকুল পিঠের পুর তৈরি করতে একটি কড়াইতে কোড়ানো নারকেল, খোয়া ক্ষীর ও চিনি দিয়ে মাঝারি আঁচে নাড়ুন।
# কড়াইতে মিশ্রণটি ভেজে শুকিয়ে নিন ও তারপর এলাচ গুঁড়ো দিন।
# মিশ্রণটি ঠান্ডা হলে সেটি থেকে ছোট ছোট গোলাকার বল বানিয়ে নিন।
# এবার পিঠে তৈরির জন্য একটি বাটিতে ময়দা, সুজি, চালের গুঁড়ো, বেকিং সোডা মিশিয়ে জল দিয়ে মাঝারি ঘন ব্যাটার বা পিটালি গোলা প্রস্তুত করুন।
# ব্যাটার যেন বেশি পাতলা বা বেশ ঘন না হয়।
# চিনি ও জল মিশিয়ে ফুটিয়ে পাতলা সিরা তৈরি করুন।
# সিরায় এলাচ ও গোলাপ জল দিয়ে রেখে দিন।
# নারকেল পুরের বল ব্যাটারে ডুবিয়ে গরম তেলে বা ঘিতে ভাজুন যতক্ষননা সেটি সোনালি রং ধারন করে। ভাজা হলে পিঠেটি গরম গরম সিরায় ৩–৫ মিনিট ডুবিয়ে রাখুন।<span style=color:red;><center>'''গোকুল পিঠে গরম বা ঠান্ডা – দুইভাবেই পরিবেশন করা যায়।'''</center></span>
[[বিষয়শ্রেণী:মিষ্টান্ন প্রস্তুতপ্রণালী]]
[[বিষয়শ্রেণী:পিঠা প্রস্তুতপ্রণালী]]
p847yjmu7h0wrgdqydwpjszkjtm274m
রন্ধনপ্রণালী:দোমাছা
104
24669
84791
84372
2025-06-18T07:48:38Z
Mehedi Abedin
7113
84791
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = মাছ রন্ধনপ্রণালী
| পরিবেশন = পরিমান অনুসারে, কমপক্ষে ৩-৪ জান।
| তৈরির সময় = প্রায় ৪৫ মিনিট
| কষ্টসাধ্য = 4
|চিত্র =
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''দোমাছা'''</big></center>
দোমাছা একটি ঐতিহ্যবাহী বাঙালি রান্না, যা সাধারণত দুই ধরনের মাছ দিয়ে তৈরি হয়। এটি মূলত পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের কিছু অঞ্চলে প্রচলিত একটি বিশেষ পদ। দোমাছা যেকোন টাটকা মাছ এবং শুঁটকি এই দুই ধরনের মাছের সমন্বয়ে রান্না করা। এটি বাংলাদেশের ফেনী, নোয়াখালী ও চট্টগ্রাম অঞ্চলের খুব পরিচিত একটি রান্না। এই রান্নায় সাধারণত রুই ও পাঁটিশ মাছ অথবা রুই ও চিংড়ি একসাথে মসলা ও পেঁয়াজ-রসুন দিয়ে ঝোল বা কষা রকমে রান্না করা হয়। এই রান্নায় কখোনো কখোনো আলু, সিমের বিচি, টমেটো ইত্যাদি সহ বিভিন্ন মৌসুমি সবজিও ব্যাবহার হয়।
==উপকরন==
{|class="wikitable"
! উপকরণ !! পরিমাণ
|-
|রুই বা যেকোন পছন্দের টাটকা মাছ || ৪ টুকরো
|-
|মাঝারি চিংড়ি/শুঁটকি মাছ || ৬–৮টি
|-
|পেঁয়াজ || ২টি (পাতলা কাটা)
|-
|রসুন বাটা || ১ টেবিল চামচ
|-
|ময়দা || ১ কাপ
|-
|সুজি || ২ টেবিল চামচ
|-
|আদা বাটা || ১ টেবিল চামচ
|-
|টমেটো || ১টি (কুচি)
|-
|হলুদ গুঁড়ো || ১ চা চামচ
|-
|লঙ্কা গুঁড়ো || ১ চা চামচ
|-
|জিরে গুঁড়ো || ১/২ চা চামচ
|-
|গরম মসলা গুঁড়ো || ১/২ চা চামচ
|-
|নুন || স্বাদমতো
|-
|তেল || পরিমাণমতো
|-
|কাঁচা লঙ্কা || ২–৩টি
|-
|}
== রন্ধনপ্রণালী ==
# রুই (অথবা পছন্দের টাটকা মাছ) ও চিংড়ি/শুঁটকি মাছ আলাদা আলাদা করে নুন ও হলুদ মাখিয়ে ১০ মিনিট রেখে দিন।
# এরপর কড়ায় তেল গরম করে প্রথমে রুই মাছগুলো হালকা ভেজে নিন, তারপর চিংড়ি মাছগুলো হালকা করে ভেজে তুলে রাখুন।
# কড়ায় তেল গরম করে পেঁয়াজ ভাজুন যতক্ষন না সেগুলি সোনালি রং ধারন করছে।
# এবার তাতে রসুন বাটা, আদা বাটা ও টমেটো কুচি দিন।
# কিছুক্ষণ নেড়ে তাতে হলুদ, লঙ্কা গুঁড়ো, জিরে গুঁড়ো, নুন দিয়ে ভালোভাবে কষিয়ে নিন।
# মসলা থেকে তেল ছেড়ে দিলে প্রথমে রুই মাছ ও পরে চিংড়ি মাছ দিন।
# সব ভালোভাবে মিশিয়ে দিন এবং ১ কাপ গরম জল দিয়ে ঢেকে ৮–১০ মিনিট রান্না করুন।
# শেষে গরম মসলা ও কাঁচা লঙ্কা দিন। ইচ্ছা করলে ধনেপাতা ছড়িয়ে পরিবেশন করুন।<span style=color:red;><center>'''দোমাছা গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন।'''</center></span>
[[বিষয়শ্রেণী:মাছ রন্ধনপ্রণালী]]
6wu0mnxunr6n44xd1rpzplg7sjz4c3p
রন্ধনপ্রণালী:রুপচাঁদা দোপেঁয়াজা
104
24687
84792
84376
2025-06-18T07:52:44Z
Mehedi Abedin
7113
84792
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = মাছ রন্ধনপ্রণালী
| পরিবেশন = পরিমান অনুসারে, কমপক্ষে ৪ জন।
| তৈরির সময় = ৪০–৫০ মিনিট
| কষ্টসাধ্য = ৪
| চিত্র =
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''রুপচাঁদা মাছের দোপেঁয়াজা'''</big></center>
রুপচাঁদা মাছের দোপেঁয়াজা একটি জনপ্রিয় বাঙালি পদ, যা রুপচাদা মাছের সাথে প্রচুর পেঁয়াজ ও মশলা দিয়ে রান্না করা হয়। এই রান্নায় মূলত পেঁয়াজ দুটি ধাপে ব্যবহৃত হয়—বাটা পেঁয়াজ বা কুচানো পেঁয়াজ কষানো হয় মশলার হিসাবে এবং রান্নার শেষে ভাজা পেঁয়াজ খাবারের উপরে ছড়ানো হয়, যা রন্ধনপ্রণালীকে একটি আলাদা ঘ্রাণ ও স্বাদ দেয়। রুপচাঁদা মাছের নরম স্বাদ, মৃদু কাঁটা এবং পেঁয়াজ-রসুনের ঝাঁজ মিশে এই পদটিকে করে তোলে বিশেষ আকর্ষণীয়। এটি গরম ভাতের সঙ্গে খেতে দারুণ উপযোগী ও সুস্বাদু।
==উপকরন==
{|class="wikitable"
! উপকরণ !! পরিমাণ
|-
| রুপচাদা মাছ || ২৫০ গ্রাম (পরিষ্কার করে ধোওয়া)
|-
| পেঁয়াজ || ৩টি (২টি পাতলা কুচি, ১টি পেস্ট করা)
|-
| আদা বাটা || ১ চা চামচ
|-
| রসুন বাটা || ১ চা চামচ
|-
| টমেটো || ১টি (বাটা বা কুচানো)
|-
| কাঁচা লঙ্কা || ৩ থেকে ৪টি
|-
| হলুদ গুঁড়ো || ১/২ চা চামচ
|-
| লঙ্কা গুঁড়ো || ১ চা চামচ (ঝাল স্বাদ অনুযায়ী)
|-
| ধনে গুঁড়ো || ১/২ চা চামচ
|-
| গরম মসলা গুঁড়ো || ১/২ চা চামচ
|-
| নুন || স্বাদমতো
|-
| চিনি || ১ চিমটে
|-
| সরষের তেল || পরিমাণমতো
|-
| ধনেপাতা কুচি || পরিবেশনের জন্য (ঐচ্ছিক)
|}
== রন্ধনপ্রণালী ==
# মাছগুলো নুন ও হলুদ মাখিয়ে ১৫ মিনিট রেখে দিন। রুপচাদা মাছ খুব নরম, তাই ভাজার সময় ও রান্নার সময় সাবধানে নাড়াচাড়া করতে হবে।
# কড়ায় সরষের তেল গরম করে মাছগুলো দুই পিঠ হালকা ভেজে তুলে রাখুন।
# কড়ায় একটু তেল দিয়ে পেঁয়াজ কুচি ভাজতে থাকুন। পেঁয়াজ সোনালি রং ধারণ করলে তুলে রাখুন (এই ভাজা পেঁয়াজ পরে ছড়িয়ে দেওয়া হবে)।
# এবার ওই পেঁয়াজ ভাজা তেলেই আগে থেকে প্রস্তুত করা কাঁচা পেঁয়াজ বাটা, আদা-রসুন বাটা দিয়ে কষান।
# তারপর তাতে টমেটো কুচি দিন(ইচ্ছা করলে কাঁচা টমেটোর বদলে টক দই ব্যবহার করতে পারেন) এবং হলুদ, লঙ্কা, ধনে গুঁড়ো, নুন ও চিনি দিয়ে ভালোভাবে মসলা কষান।
# মসলা থেকে তেল ছেড়ে এলে ভাজা মাছগুলো দিয়ে হালকা নেড়ে ১ কাপ গরম জল ঢেলে দিন।
# ৮–১০ মিনিট ঢেকে রান্না করুন।
# রান্না শেষে ওপর থেকে ভাজা পেঁয়াজ, কাঁচা লঙ্কা ও গরম মসলা ছড়িয়ে দিন।<span style=color:red;><center>'''গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন রুপচাদা মাছের দোপেঁয়াজা। চাইলে ওপর থেকে সামান্য ধনেপাতা কুচি ছড়িয়ে দিতে পারেন'''</center></span>
[[বিষয়শ্রেণী:মাছ রন্ধনপ্রণালী]]
qshgn3tirobcgd7qdn9tc2qu925y4b5
84793
84792
2025-06-18T07:53:00Z
Mehedi Abedin
7113
84793
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = মাছ রন্ধনপ্রণালী
| পরিবেশন = পরিমান অনুসারে, কমপক্ষে ৪ জন।
| তৈরির সময় = ৪০–৫০ মিনিট
| কষ্টসাধ্য = ৪
| চিত্র =
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''রুপচাঁদা মাছের দোপেঁয়াজা'''</big></center>
রুপচাঁদা মাছের দোপেঁয়াজা একটি জনপ্রিয় বাঙালি পদ, যা রুপচাদা মাছের সাথে প্রচুর পেঁয়াজ ও মশলা দিয়ে রান্না করা হয়। এই রান্নায় মূলত পেঁয়াজ দুটি ধাপে ব্যবহৃত হয়—বাটা পেঁয়াজ বা কুচানো পেঁয়াজ কষানো হয় মশলার হিসাবে এবং রান্নার শেষে ভাজা পেঁয়াজ খাবারের উপরে ছড়ানো হয়, যা রন্ধনপ্রণালীকে একটি আলাদা ঘ্রাণ ও স্বাদ দেয়। রুপচাঁদা মাছের নরম স্বাদ, মৃদু কাঁটা এবং পেঁয়াজ-রসুনের ঝাঁজ মিশে এই পদটিকে করে তোলে বিশেষ আকর্ষণীয়। এটি গরম ভাতের সঙ্গে খেতে দারুণ উপযোগী ও সুস্বাদু।
==উপকরন==
{|class="wikitable"
! উপকরণ !! পরিমাণ
|-
| রুপচাঁদা মাছ || ২৫০ গ্রাম (পরিষ্কার করে ধোওয়া)
|-
| পেঁয়াজ || ৩টি (২টি পাতলা কুচি, ১টি পেস্ট করা)
|-
| আদা বাটা || ১ চা চামচ
|-
| রসুন বাটা || ১ চা চামচ
|-
| টমেটো || ১টি (বাটা বা কুচানো)
|-
| কাঁচা লঙ্কা || ৩ থেকে ৪টি
|-
| হলুদ গুঁড়ো || ১/২ চা চামচ
|-
| লঙ্কা গুঁড়ো || ১ চা চামচ (ঝাল স্বাদ অনুযায়ী)
|-
| ধনে গুঁড়ো || ১/২ চা চামচ
|-
| গরম মসলা গুঁড়ো || ১/২ চা চামচ
|-
| নুন || স্বাদমতো
|-
| চিনি || ১ চিমটে
|-
| সরষের তেল || পরিমাণমতো
|-
| ধনেপাতা কুচি || পরিবেশনের জন্য (ঐচ্ছিক)
|}
== রন্ধনপ্রণালী ==
# মাছগুলো নুন ও হলুদ মাখিয়ে ১৫ মিনিট রেখে দিন। রুপচাদা মাছ খুব নরম, তাই ভাজার সময় ও রান্নার সময় সাবধানে নাড়াচাড়া করতে হবে।
# কড়ায় সরষের তেল গরম করে মাছগুলো দুই পিঠ হালকা ভেজে তুলে রাখুন।
# কড়ায় একটু তেল দিয়ে পেঁয়াজ কুচি ভাজতে থাকুন। পেঁয়াজ সোনালি রং ধারণ করলে তুলে রাখুন (এই ভাজা পেঁয়াজ পরে ছড়িয়ে দেওয়া হবে)।
# এবার ওই পেঁয়াজ ভাজা তেলেই আগে থেকে প্রস্তুত করা কাঁচা পেঁয়াজ বাটা, আদা-রসুন বাটা দিয়ে কষান।
# তারপর তাতে টমেটো কুচি দিন(ইচ্ছা করলে কাঁচা টমেটোর বদলে টক দই ব্যবহার করতে পারেন) এবং হলুদ, লঙ্কা, ধনে গুঁড়ো, নুন ও চিনি দিয়ে ভালোভাবে মসলা কষান।
# মসলা থেকে তেল ছেড়ে এলে ভাজা মাছগুলো দিয়ে হালকা নেড়ে ১ কাপ গরম জল ঢেলে দিন।
# ৮–১০ মিনিট ঢেকে রান্না করুন।
# রান্না শেষে ওপর থেকে ভাজা পেঁয়াজ, কাঁচা লঙ্কা ও গরম মসলা ছড়িয়ে দিন।<span style=color:red;><center>'''গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন রুপচাদা মাছের দোপেঁয়াজা। চাইলে ওপর থেকে সামান্য ধনেপাতা কুচি ছড়িয়ে দিতে পারেন'''</center></span>
[[বিষয়শ্রেণী:মাছ রন্ধনপ্রণালী]]
ac1oebypumeat23awehihyc8wplwdbs
84794
84793
2025-06-18T07:53:22Z
Mehedi Abedin
7113
84794
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = মাছ রন্ধনপ্রণালী
| পরিবেশন = পরিমান অনুসারে, কমপক্ষে ৪ জন।
| তৈরির সময় = ৪০–৫০ মিনিট
| কষ্টসাধ্য = ৪
| চিত্র =
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''রুপচাঁদা মাছের দোপেঁয়াজা'''</big></center>
রুপচাঁদা মাছের দোপেঁয়াজা একটি জনপ্রিয় বাঙালি পদ, যা রুপচাদা মাছের সাথে প্রচুর পেঁয়াজ ও মশলা দিয়ে রান্না করা হয়। এই রান্নায় মূলত পেঁয়াজ দুটি ধাপে ব্যবহৃত হয়—বাটা পেঁয়াজ বা কুচানো পেঁয়াজ কষানো হয় মশলার হিসাবে এবং রান্নার শেষে ভাজা পেঁয়াজ খাবারের উপরে ছড়ানো হয়, যা রন্ধনপ্রণালীকে একটি আলাদা ঘ্রাণ ও স্বাদ দেয়। রুপচাঁদা মাছের নরম স্বাদ, মৃদু কাঁটা এবং পেঁয়াজ-রসুনের ঝাঁজ মিশে এই পদটিকে করে তোলে বিশেষ আকর্ষণীয়। এটি গরম ভাতের সঙ্গে খেতে দারুণ উপযোগী ও সুস্বাদু।
==উপকরন==
{|class="wikitable"
! উপকরণ !! পরিমাণ
|-
| রুপচাঁদা মাছ || ২৫০ গ্রাম (পরিষ্কার করে ধোওয়া)
|-
| পেঁয়াজ || ৩টি (২টি পাতলা কুচি, ১টি পেস্ট করা)
|-
| আদা বাটা || ১ চা চামচ
|-
| রসুন বাটা || ১ চা চামচ
|-
| টমেটো || ১টি (বাটা বা কুচানো)
|-
| কাঁচা লঙ্কা || ৩ থেকে ৪টি
|-
| হলুদ গুঁড়ো || ১/২ চা চামচ
|-
| লঙ্কা গুঁড়ো || ১ চা চামচ (ঝাল স্বাদ অনুযায়ী)
|-
| ধনে গুঁড়ো || ১/২ চা চামচ
|-
| গরম মসলা গুঁড়ো || ১/২ চা চামচ
|-
| নুন || স্বাদমতো
|-
| চিনি || ১ চিমটে
|-
| সরষের তেল || পরিমাণমতো
|-
| ধনেপাতা কুচি || পরিবেশনের জন্য (ঐচ্ছিক)
|}
== রন্ধনপ্রণালী ==
# মাছগুলো নুন ও হলুদ মাখিয়ে ১৫ মিনিট রেখে দিন। রুপচাঁদা মাছ খুব নরম, তাই ভাজার সময় ও রান্নার সময় সাবধানে নাড়াচাড়া করতে হবে।
# কড়ায় সরষের তেল গরম করে মাছগুলো দুই পিঠ হালকা ভেজে তুলে রাখুন।
# কড়ায় একটু তেল দিয়ে পেঁয়াজ কুচি ভাজতে থাকুন। পেঁয়াজ সোনালি রং ধারণ করলে তুলে রাখুন (এই ভাজা পেঁয়াজ পরে ছড়িয়ে দেওয়া হবে)।
# এবার ওই পেঁয়াজ ভাজা তেলেই আগে থেকে প্রস্তুত করা কাঁচা পেঁয়াজ বাটা, আদা-রসুন বাটা দিয়ে কষান।
# তারপর তাতে টমেটো কুচি দিন(ইচ্ছা করলে কাঁচা টমেটোর বদলে টক দই ব্যবহার করতে পারেন) এবং হলুদ, লঙ্কা, ধনে গুঁড়ো, নুন ও চিনি দিয়ে ভালোভাবে মসলা কষান।
# মসলা থেকে তেল ছেড়ে এলে ভাজা মাছগুলো দিয়ে হালকা নেড়ে ১ কাপ গরম জল ঢেলে দিন।
# ৮–১০ মিনিট ঢেকে রান্না করুন।
# রান্না শেষে ওপর থেকে ভাজা পেঁয়াজ, কাঁচা লঙ্কা ও গরম মসলা ছড়িয়ে দিন।<span style=color:red;><center>'''গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন রুপচাঁদা মাছের দোপেঁয়াজা। চাইলে ওপর থেকে সামান্য ধনেপাতা কুচি ছড়িয়ে দিতে পারেন'''</center></span>
[[বিষয়শ্রেণী:মাছ রন্ধনপ্রণালী]]
9m1i3as26rh0dltsgq0qa5p09ayjkfy
রন্ধনপ্রণালী:লাউপাতার খিলিতে কাচকি
104
24690
84795
79220
2025-06-18T07:55:34Z
Mehedi Abedin
7113
84795
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = মাছ রন্ধনপ্রণালী
| পরিবেশন = পরিমান অনুসারে, কমপক্ষে ৪ জন।
| তৈরির সময় = ৩০–৩৫ মিনিট
| কষ্টসাধ্য = ৪
| চিত্র =
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''লাউপাতার খিলিতে কাচকি'''</big></center>
লাউপাতার খিলিতে কাচকি একটি ঐতিহ্যবাহী গ্রামবাংলার রান্না, যেখানে কাচকি মাছকে লাউ পাতার মধ্যে ভরে রান্না করা হয়। এই পদটির বিশেষত্ব হল লাউপাতার হালকা তিতকুটে ও সবুজ ঘ্রাণ, যা কাচকি মাছের স্বাদকে আরও বাড়িয়ে তোলে। সাধারণত রসুন, কাঁচা লঙ্কা, পেঁয়াজ ও অল্প মসলা দিয়ে এটি রান্না করা হয়, যাতে লাউপাতা ও কাচকি মাছের প্রাকৃতিক স্বাদ বজায় থাকে। গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করলে এটি অত্যন্ত রুচিকর ও পুষ্টিকর একটি পদ হয়ে ওঠে।
==উপকরন==
{|class="wikitable"
! উপকরণ !! পরিমাণ
|-
| কাচকি মাছ || ৫০০ গ্রাম
|-
| পেঁয়াজ কুচি || এক কাপ
|-
| লাউপাতা || ২ থেকে ৩টে (প্রয়োজনমতো)
|-
| শোলা কচু ভাজা || এক কাপ
|-
| ধনেপাতা || আধা কাপ
|-
| কাঁচামরিচ কুচি || দুই টেবিল-চামচ
|-
| হলুদ গুঁড়া || আধা চা-চামচ
|-
| লবণ || পরিমাণমতো
|-
| মরিচ গুঁড়া || এক চা-চাম
|-
| ময়দা || এক কাপ
|-
| তেল || প্রয়োজনমতো (ভাজার জন্য)
|-
|জিরে গুঁড়ো || আধা চা-চামচ
|-
|পাঁচ ফোড়ন || এক চা-চামচ
|-
| দাঁত খড়ক || কয়েকটা(লাউয়ের পাতা মুড়িয়ে খিলি তৈরি করতে)।
|}
== রন্ধনপ্রণালী ==
# ময়দা, লবণ, মরিচ গুঁড়া ও জল একসাথে গুলে থকথকে একটি মিশ্রণ বানান।
# কাচকি মাছ ভালো করে পরিষ্কার করে নিন
# এরপর মাছগুলি একটি কড়াইয়ের মধ্যে পেঁয়াজ কুচি, ধনেপাতা দুই টেবিল-চামচ, কাঁচামরিচ, লবণ, হলুদ ও সামান্য তেল সহযোগে রান্না করতে হবে।
# কড়াই ঢেকে রাখুন এবং যতক্ষন না মাছ শুকিয়ে ঝিরঝিরে ভাজা হচ্ছে ততক্ষণ রাধুন।
# এরপর কচু কুচি করে কাটুন এবং সামান্য লবণ মাখিয়ে ডুবোতেলে মচমচে করে ভাজুন।
# কচুভাজা, কাচকি মাছ, ধনেপাতা, জিরা গুঁড়া, পাঁচফোড়ন গুঁড়া একসঙ্গে মিশিয়ে পুরের মতো বানান।
# এবার লাউয়ের পাতাটি ভালো করে ধুয়ে নিন। তারপর তার মসৃন অংশটির দিকে সামান্য তেল লাগিয়ে বানানো পুরটি ভরে দিন পাতাটি মুড়ে নিন।
# এরপর লাউয়ের পাতাটিকে হাত দিয়ে মুড়িয়ে পানের খিলির মতো আকার দিন এবং দাঁত খড়ক দিয়ে ভালো করে আটকিয়ে দিন যাতে ভেতরের পুর বেরোতে না পারে।
# এরপর কাচকি মাছের পুরভরা লাউপাতার খিলি আগে থেকে বানিয়ে রাখা থক্থকে ময়দার গোলায় চুবিয়ে কড়াইয়ের ডুবোতেলে ছেড়ে দিন।
# লাউপাতার খিলি ভাজতে থাকুন যতক্ষন না সেটি বাদামি রং ধারন করছে।<span style=color:red;><center>'''গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন লাউপাতার খিলিতে কাচকি।'''</center></span>
[[বিষয়শ্রেণী:মাছ রন্ধনপ্রণালী]]
8p986y8aecbgtd2vznm0xk9vnbtdf1s
84796
84795
2025-06-18T07:55:44Z
Mehedi Abedin
7113
84796
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = মাছ রন্ধনপ্রণালী
| পরিবেশন = পরিমান অনুসারে, কমপক্ষে ৪ জন।
| তৈরির সময় = ৩০–৩৫ মিনিট
| কষ্টসাধ্য = ৪
| চিত্র =
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''লাউপাতার খিলিতে কাচকি'''</big></center>
লাউপাতার খিলিতে কাচকি একটি ঐতিহ্যবাহী গ্রামবাংলার রান্না, যেখানে কাচকি মাছকে লাউ পাতার মধ্যে ভরে রান্না করা হয়। এই পদটির বিশেষত্ব হল লাউপাতার হালকা তিতকুটে ও সবুজ ঘ্রাণ, যা কাচকি মাছের স্বাদকে আরও বাড়িয়ে তোলে। সাধারণত রসুন, কাঁচা লঙ্কা, পেঁয়াজ ও অল্প মসলা দিয়ে এটি রান্না করা হয়, যাতে লাউপাতা ও কাচকি মাছের প্রাকৃতিক স্বাদ বজায় থাকে। গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করলে এটি অত্যন্ত রুচিকর ও পুষ্টিকর একটি পদ হয়ে ওঠে।
==উপকরন==
{|class="wikitable"
! উপকরণ !! পরিমাণ
|-
| কাচকি মাছ || ৫০০ গ্রাম
|-
| পেঁয়াজ কুচি || এক কাপ
|-
| লাউপাতা || ২ থেকে ৩টে (প্রয়োজনমতো)
|-
| শোলা কচু ভাজা || এক কাপ
|-
| ধনেপাতা || আধা কাপ
|-
| কাঁচামরিচ কুচি || দুই টেবিল-চামচ
|-
| হলুদ গুঁড়া || আধা চা-চামচ
|-
| লবণ || পরিমাণমতো
|-
| মরিচ গুঁড়া || এক চা-চাম
|-
| ময়দা || এক কাপ
|-
| তেল || প্রয়োজনমতো (ভাজার জন্য)
|-
|জিরে গুঁড়ো || আধা চা-চামচ
|-
|পাঁচ ফোড়ন || এক চা-চামচ
|-
| দাঁত খড়ক || কয়েকটা (লাউয়ের পাতা মুড়িয়ে খিলি তৈরি করতে)।
|}
== রন্ধনপ্রণালী ==
# ময়দা, লবণ, মরিচ গুঁড়া ও জল একসাথে গুলে থকথকে একটি মিশ্রণ বানান।
# কাচকি মাছ ভালো করে পরিষ্কার করে নিন
# এরপর মাছগুলি একটি কড়াইয়ের মধ্যে পেঁয়াজ কুচি, ধনেপাতা দুই টেবিল-চামচ, কাঁচামরিচ, লবণ, হলুদ ও সামান্য তেল সহযোগে রান্না করতে হবে।
# কড়াই ঢেকে রাখুন এবং যতক্ষন না মাছ শুকিয়ে ঝিরঝিরে ভাজা হচ্ছে ততক্ষণ রাধুন।
# এরপর কচু কুচি করে কাটুন এবং সামান্য লবণ মাখিয়ে ডুবোতেলে মচমচে করে ভাজুন।
# কচুভাজা, কাচকি মাছ, ধনেপাতা, জিরা গুঁড়া, পাঁচফোড়ন গুঁড়া একসঙ্গে মিশিয়ে পুরের মতো বানান।
# এবার লাউয়ের পাতাটি ভালো করে ধুয়ে নিন। তারপর তার মসৃন অংশটির দিকে সামান্য তেল লাগিয়ে বানানো পুরটি ভরে দিন পাতাটি মুড়ে নিন।
# এরপর লাউয়ের পাতাটিকে হাত দিয়ে মুড়িয়ে পানের খিলির মতো আকার দিন এবং দাঁত খড়ক দিয়ে ভালো করে আটকিয়ে দিন যাতে ভেতরের পুর বেরোতে না পারে।
# এরপর কাচকি মাছের পুরভরা লাউপাতার খিলি আগে থেকে বানিয়ে রাখা থক্থকে ময়দার গোলায় চুবিয়ে কড়াইয়ের ডুবোতেলে ছেড়ে দিন।
# লাউপাতার খিলি ভাজতে থাকুন যতক্ষন না সেটি বাদামি রং ধারন করছে।<span style=color:red;><center>'''গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন লাউপাতার খিলিতে কাচকি।'''</center></span>
[[বিষয়শ্রেণী:মাছ রন্ধনপ্রণালী]]
geniusaayqqykt3r76r3qpz908zoh22
প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/জৈবচিকিৎসীয় আলট্রাসাউন্ড
0
24693
84664
77686
2025-06-17T18:56:32Z
Asikur.rahman25
11164
84664
wikitext
text/x-wiki
{{Engineering Acoustics}}
== জৈব-চিকিৎসা শব্দোত্তর তরঙ্গ ==
ইঞ্জিনিয়ারিং শব্দবিজ্ঞান উইকিবইয়ের এই অধ্যায়ে জৈব-চিকিৎসা শব্দোত্তর তরঙ্গের প্রয়োগগুলোর সংক্ষিপ্ত পরিচিতি এবং শব্দোত্তর রশ্মির জন্য কিছু প্রাথমিক শব্দতাত্ত্বিক বিশ্লেষণ উপস্থাপন করা হয়েছে। পুরো জৈব-চিকিৎসা শব্দোত্তর তরঙ্গ ক্ষেত্রটি নানা মৌলিক শাস্ত্রের সমন্বয়ে গঠিত এবং এতে বহু বিষয়ে গবেষণার সুযোগ রয়েছে। তাই এই সংক্ষিপ্ত লেখাটি শব্দোত্তর তরঙ্গের সব দিক আলোচনা করে না। বরং এটি পাঠকদের একটি প্রাথমিক ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করে, যাতে আগ্রহীরা এই বিষয়ে আরও বিস্তারিতভাবে অধ্যয়ন করতে পারেন। যাঁরা আরও গভীরভাবে জানতে চান তাঁদের জন্য কোবোল্ড এর ২০০৭ সালের গ্রন্থটি <ref name="Cobbold"/> সুপারিশ করা হয়েছে।
== রোগনির্ণয়ে প্রয়োগ ==
জৈব-চিকিৎসা শব্দোত্তর তরঙ্গের সবচেয়ে পরিচিত প্রয়োগ হলো চিকিৎসা চিত্রায়ন যাকে শব্দোত্তর চিত্রায়ন বা আল্ট্রাসনোগ্রাফি বলা হয়। শব্দোত্তর চিত্রায়নের নির্দিষ্ট প্রয়োগগুলোর তালিকার জন্য সংশ্লিষ্ট [[w:Medical ultrasonography|উইকিপিডিয়া নিবন্ধ]]টি দেখুন। নিচের অংশে শব্দোত্তর চিত্র তৈরির জন্য যে শব্দতাত্ত্বিক প্রক্রিয়া ব্যবহৃত হয় তা গুণগতভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
একটি শব্দোত্তর তরঙ্গ ট্রান্সডিউসার স্বল্পস্থায়ী উচ্চ কম্পাঙ্কের শব্দ তরঙ্গ নির্গত করে। প্রয়োগ অনুযায়ী এই তরঙ্গের কম্পাঙ্ক ১ মেগাহার্টজ থেকে ১৫ মেগাহার্টজ পর্যন্ত হতে পারে।<ref name="Kremkau"/> নির্গত শব্দ তরঙ্গ যখন শরীরের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে, তখন শব্দ প্রতিবন্ধকতার (''ρc'') পার্থক্যের ক্ষেত্রে আংশিক প্রতিফলন বা বিকিরণ ঘটে। চিকিৎসা চিত্রায়নের প্রসঙ্গে, এটি ঘটে শরীরের যেখানে ঘনত্বের তারতম্য রয়েছে যেমন হাড় ও পেশির সংযোগস্থলে, রক্তরসের মধ্যে রক্তকণিকা, অঙ্গের ছোট গঠন ইত্যাদিতে।<ref name="Wiki_sono"/>
প্রতিফলিত তরঙ্গের আচরণ নির্ভর করে প্রতিফলক গঠনের আকার এবং প্রেরিত শব্দ তরঙ্গের তরঙ্গদৈর্ঘ্যের উপর। যদি তরঙ্গদৈর্ঘ্য ছোট হয়, তাহলে প্রতিফলন ঘটে শব্দ পরিবাহিতা ও প্রতিফলনের নিয়ম অনুযায়ী তা স্বাভাবিক হোক বা তির্যক।<ref name="Kinsler_rt"/> আর যদি তরঙ্গদৈর্ঘ্য প্রতিফলক গঠনের তুলনায় বড় হয়, তখন শব্দ বিকিরণের নিয়ম প্রযোজ্য হয়।<ref name="Pierce_sd"/> এই দ্বিতীয় অবস্থা, যা ছোট প্রতিফলন উৎসের ক্ষেত্রে ঘটে, সেটিই নির্ধারণ করে শব্দোত্তর চিত্রায়নে কোন কম্পাঙ্ক ব্যবহার করা হবে। কোবোল্ড এর বিশ্লেষণ অনুযায়ী,<ref name="Cobbold_su"/> একটি সমতল তরঙ্গ যখন একটি গোলীয় প্রতিফলক উৎসে পড়ে যার কার্যকর ব্যাসার্ধ ''a'', তখন বিকিরিত তরঙ্গের শব্দ তীব্রতা, ''I<sub>s</sub>'', পরিবর্তিত হয় এই সূত্র অনুযায়ী:
<br>
:<math>
I_s \propto \frac{a^6}{\lambda ^4}
</math>
এই সূত্রটি দেখায়, যখন তরঙ্গদৈর্ঘ্য প্রতিফলক উৎসের তুলনায় বড় হয়, তখন প্রতিফলিত শক্তি খুব কম হয়ে যায়। ফলে ট্রান্সডিউসারে উল্লেখযোগ্য প্রতিফলিত তরঙ্গ ফেরত আসে না। শব্দোত্তর চিত্রে একটি গঠন স্পষ্টভাবে ধরতে হলে, নির্গত তরঙ্গের তরঙ্গদৈর্ঘ্য সেই গঠনের চেয়ে ছোট হতে হবে। তরঙ্গদৈর্ঘ্য নির্বাচন করতে গিয়ে আরও কিছু বিষয় বিবেচনা করতে হয়: যেহেতু শব্দ তরঙ্গ পরিবাহনের পথে ক্ষয়প্রাপ্ত হয়, তাই কম কম্পাঙ্ক বেশি গভীরে ছবি তুলতে সাহায্য করে। অন্যদিকে, বেশি কম্পাঙ্ক (ছোট তরঙ্গদৈর্ঘ্য) নির্গত রশ্মিকে সরু ফোকাসে কেন্দ্রীভূত করতে সহায়তা করে।<ref name="Kremkau"/> নিচের টেবিলে বিভিন্ন কম্পাঙ্কে পানিতে তরঙ্গদৈর্ঘ্যের সঙ্গে সম্পর্ক দেখানো হয়েছে (''λ'' = ''c''/''f'')।
<br>
{| class="wikitable" style="text-align: center;" align="center"
|+ টেবিল ১: চিকিৎসা ক্ষেত্রে ব্যবহৃত শব্দোত্তর তরঙ্গের কম্পাঙ্ক ও সংশ্লিষ্ট তরঙ্গদৈর্ঘ্য।
|-
| কম্পাঙ্ক (মেগাহার্টজ) || ১ || ২ || ৫ || ৮ || ১০ || ১২ || ১৫
|-
| তরঙ্গদৈর্ঘ্য (মিলিমিটার) || ১.৫০ || ০.৭৫ || ০.৩০ || ০.১৯ || ০.১৫ || ০.১৩ || ০.১০
|}
তরঙ্গ নির্গত হওয়ার পর শব্দোত্তর ট্রান্সডিউসার একটি গ্রাহকের মতো কাজ করতে পারে—যেমন একটি মাইক্রোফোন বা হাইড্রোফোন। প্রতিফলিত তরঙ্গ বা ঘনত্ব পরিবর্তনের কারণে ফিরে আসা তরঙ্গ ট্রান্সডিউসারে এসে রেকর্ড হয়। প্রেরিত ও প্রাপ্ত সংকেতের মধ্যকার সময় ব্যবধান থেকে প্রতিফলন উৎসের দূরত্ব নির্ণয় করা যায়। আর প্রাপ্ত সংকেতের তীব্রতা থেকে প্রতিফলনের শাব্দিক প্রতিবন্ধকতা এবং আকার সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়।<ref name="Wiki_sono"/> যেখানে ডপলার শব্দোত্তর চিত্রায়ন ব্যবহার করা হয়, সেখানে প্রেরিত ও প্রাপ্ত সংকেতের কম্পাঙ্ক পরিবর্তন থেকে প্রতিফলক উৎসের গতি নির্ধারণ করা যায়।
আধুনিক শব্দোত্তর চিত্রায়নে ছোট ছোট অনেক ট্রান্সডিউসারের সমষ্টি ব্যবহার করা হয়, যেগুলোর প্রতিটি আলাদাভাবে ইলেকট্রনিকভাবে নিয়ন্ত্রিত হয় [[w:Beamforming|বিমফর্মিং]] নামের একটি কৌশল ব্যবহার করে। এই পদ্ধতিতে, প্রতিটি ট্রান্সডিউসারের তরঙ্গের ধাপের সম্পর্ক নিয়ন্ত্রণ করে নির্গত রশ্মির দিক ও ফোকাস গভীরতা নিয়ন্ত্রণ করা যায়।<ref name="Cobbold_ia"/> একটি দ্বিমাত্রিক শব্দোত্তর চিত্র তৈরি করতে হলে, রশ্মির ফোকাল অবস্থান একটি অঞ্চলের মধ্যে ধীরে ধীরে সরানো হয় এবং প্রতিফলিত তরঙ্গগুলো রেকর্ড করে সেই নির্দিষ্ট অবস্থানের সঙ্গে সংযুক্ত করা হয়। এই সাধারণ প্রক্রিয়াটি বিভিন্ন যন্ত্রে ভিন্নভাবে সম্পন্ন হয়। নিচে একটি ২-মাত্রিক শব্দোত্তর চিত্র দেখানো হয়েছে, যা ফোকাস অঞ্চল সরিয়ে নেওয়ার মাধ্যমে তৈরি হয়েছে।
<br>
[[Image:CRL Crown rump length 12 weeks ecografia Dr. Wolfgang Moroder.jpg|thumb|center|420px|চিত্র ১: ২-মাত্রিক গর্ভকালীন শব্দোত্তর তরঙ্গ চিত্র।]]
== ক্লিনিকাল ও চিকিৎসামূলক প্রয়োগ ==
উচ্চ তীব্রতাসম্পন্ন কেন্দ্রীভূত শব্দোত্তর তরঙ্গ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ক্লিনিকাল ও চিকিৎসামূলক প্রয়োগে ব্যবহৃত হয়। এই ধরনের প্রয়োগে সাধারণত উচ্চ তীব্রতার শব্দ তরঙ্গের অপচয়ের ফলে যে তাপ উৎপন্ন হয় সেটাই চিকিৎসার মূল কার্যকারিতা তৈরি করে। কিছু ক্ষেত্রে যেমন [[w:লিথোট্রিপসি|লিথোট্রিপসি]] তে চিকিৎসামূলক প্রভাব শব্দ তরঙ্গের অরৈখিকতার কারণে সৃষ্টি হয়। এতে [[তরঙ্গ বিকৃতি|তরঙ্গ বিকৃতি]] ও [[ঘাত তরঙ্গের গঠন|ঘাত তরঙ্গ]] তৈরি হয়। এই প্রভাব সম্পর্কে [[#পরবর্তী এক খণ্ডে|পরবর্তী এক খণ্ডে]] আরও বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
নিচে শব্দোত্তর তরঙ্গের কয়েকটি চিকিৎসামূলক প্রয়োগের আংশিক তালিকা দেওয়া হলো:
* [[w:ডেন্টাল হাইজেনিস্ট|ডেন্টাল হাইজেনিস্ট]] পেশায় দাঁত পরিষ্কারের জন্য শব্দোত্তর তরঙ্গ কখনো কখনো ব্যবহার করা হয়।
* কেন্দ্রীভূত শব্দোত্তর তরঙ্গ ব্যবহার করে নির্দিষ্ট স্থানে উচ্চ তাপ উৎপন্ন করে সিস্ট ও টিউমার (সৌম্য বা মারাত্মক) চিকিৎসা করা হয়। একে ফোকাসড আল্ট্রাসাউন্ড সার্জারি বা উচ্চ তীব্রতা কেন্দ্রিক শব্দোত্তর বলা হয়। এই প্রক্রিয়ায় সাধারণত চিকিৎসা-নির্ণয়ের শব্দোত্তর তরঙ্গের চেয়ে কম কম্পাঙ্ক (২৫০ কিলোহার্টজ থেকে ২০০০ কিলোহার্টজ পর্যন্ত) ব্যবহার করা হলেও, এর শক্তি অনেক বেশি হয়।
* লিথোট্রিপসি ব্যবহার করে কিডনির পাথর ভাঙার জন্য কেন্দ্রীভূত শব্দোত্তর তরঙ্গ ব্যবহার করা হয়।
* [[w:ফ্যাকোইমালসিফিকেশন|ফ্যাকোইমালসিফিকেশন]] পদ্ধতিতে ছানির চিকিৎসায় শব্দোত্তর তরঙ্গ ব্যবহার করা হয়।
* [[W:নিম্ন-তীব্রতার শব্দোত্তর তরঙ্গ|নিম্ন-তীব্রতার শব্দোত্তর তরঙ্গের]] আরও কিছু শারীরবৃত্তীয় প্রভাব সম্প্রতি আবিষ্কৃত হয়েছে, যেমন হাড়ের বৃদ্ধি উদ্দীপিত করা এবং ওষুধ পরিবহনের জন্য [[w:রক্ত-মস্তিষ্ক প্রতিবন্ধক|রক্ত-মস্তিষ্ক প্রতিবন্ধক]] অতিক্রমের সম্ভাবনা।
== শব্দোত্তর রশ্মির শব্দতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য ==
প্রাথমিকভাবে ধরে নেওয়া যায় শব্দোত্তর রশ্মি একটি অনন্ত বাফলে একটি সমতল বৃত্তাকার পিস্টন দোলনের ফলে উৎপন্ন হয়। বাস্তবে এ ধরনের ব্যবস্থায় শব্দ রশ্মির অনেক বেশি বিস্তার পার্শ্ব-লোবের তীব্রতা এবং নির্দিষ্ট ফোকাল দৈর্ঘ্য নির্ধারণের অক্ষমতা দেখা দেয়। বর্তমান চিকিৎসা ক্ষেত্রে বিমফর্মিং নামে পরিচিত একটি সাধারণ পদ্ধতির অংশ হিসেবে ফেজড অ্যারে ব্যবহার করা হয়। যদিও সমতল ট্রান্সডিউসারগুলোর কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে তবে এগুলোর সহজ বিশ্লেষণের মাধ্যমে গঠিত যে কোনো রশ্মির মৌলিক বৈশিষ্ট্য ও উন্নত প্রযুক্তির নকশার চ্যালেঞ্জ বোঝানো যায়।
সরল বৃত্তাকার ট্রান্সডিউসারের জন্য ব্যবহৃত বিশ্লেষণ পদ্ধতিটি পিয়ার্স,<ref name="Pierce"/> কিনসলার <ref name="Kinsler"/> এবং চিকি<ref name="Cheeke"/> এর মতো বহু শব্দতত্ত্ব গ্রন্থে দেখা যায়। এখানে প্রথমে মুক্ত বায়ুতে কম্পমান একটি ছোট গোলকীয় উৎসের হারমোনিক গতি থেকে নির্গত শব্দ বিবেচনা করে শব্দ ক্ষেত্র নির্ধারণ করা হয়। সেই উৎস থেকে প্রাপ্ত শব্দ চাপ ক্ষেত্র নিম্নরূপ:
<br>
:<math>
\boldsymbol{P} = i\left(\frac{\rho_o c U_o k a^2}{r} \right )e^{-ikr}
</math>
:<math>
I(r) = \frac{1}{2}\rho_o c_o U_o^2 \left(\frac{a}{r} \right )^2 \left(ka \right )^2
</math>
এখানে '''''P'''''(''r'') হলো রেডিয়াল দূরত্ব ''r'' এ হারমোনিক চাপের পরিমাণ ''ρ<sub>o</sub>'' হলো তরলের ঘনত্ব, ''c<sub>o</sub>'' তরলের শব্দের বেগ, ''U<sub>o</sub>'' হলো গোলক উৎসের সর্বাধিক বেগ, ''a'' হলো গোলকের ব্যাসার্ধ, এবং ''k'' = 2''πf''/''c<sub>o</sub>'' হলো তরঙ্গ সংখ্যা। উপরের সমীকরণগুলোতে ''i'' = -1<sup>1/2</sup> যা হারমোনিক চাপ ভেরিয়েবলে প্রশস্ততা ও ধাপ উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে।
এই ফলাফলটি ট্রান্সডিউসারকে একটি বৃত্তাকার রেডিয়েটর হিসেবে প্রয়োগ করতে হলে প্রতিটি অতি ক্ষুদ্র অংশকে একটি আলাদা গোলীয় উৎস হিসেবে ধরা যায়। এর ফলে গঠিত শব্দ ক্ষেত্র হলো প্রতিটি গোলীয় উৎসের ইন্টিগ্রাল যোগফল। সাধারণভাবে এ ধরনের সমীকরণ বিশ্লেষণমূলকভাবে সমাধান করা যায় না। তবে যখন r >> a (যেখানে ''a'' হলো এখন ট্রান্সডিউসারের ব্যাসার্ধ) ধরা হয় তখন একটি সরল ফলাফল পাওয়া যায়। পুরো ডেরিভেশন এখানে না দিয়ে (বিশদ দেখতে কিনসলার <ref name="Kinsler"/> অথবা চিকি <ref name="Cheeke"/> দেখুন) শব্দ ক্ষেত্র এবং শব্দ তীব্রতার সমীকরণগুলো হলো:
<br>
:<math>
\boldsymbol{P}(r, \theta) = i \left( \tfrac{1}{2}\rho_o c_o U_o \frac{a}{r}ka \right ) H(\theta)e^{-ikr},
</math>
:<math>
H(\theta) = \frac{2J_1(ka\sin\theta)}{ka \sin \theta},
</math>
:<math>
I(r,\theta) = \frac{|\boldsymbol{P}(r)|^2}{2\rho_oc_o},
</math>
এখানে ''H''(''θ'') হলো নির্দেশিকা ফাংশন ''J<sub>1</sub>'' হলো [http://en.wikipedia.org/wiki/Bessel_function প্রথম প্রকারের বেসেল ফাংশন] এবং ''I''(''r'') হলো W/m<sup>2</sup> এককে শব্দ তীব্রতা। বাস্তবিক অর্থে নির্দেশিকা ফাংশনটি রশ্মির সেই সকল কোণে চাপের পরিমাণ দেখায় যা ট্রান্সডিউসারের অক্ষ বরাবর নয়। বেশেল ফাংশনের মূল যেসব কোণে চাপ শূন্য করে সেগুলো পার্শ্ব-লোব নামে পরিচিত। এই কোণগুলোর মধ্যবর্তী অঞ্চলে থাকে পার্শ্ব-লোব আর অক্ষ বরাবর যে অংশ থাকে তা মূল লোব নামে পরিচিত। বাস্তবে এই লোবগুলো সৃষ্টি হয় ট্রান্সডিউসারের বিভিন্ন অংশ থেকে নির্গত তরঙ্গগুলোর ধাপীয় মিথস্ক্রিয়ার ফলে। এটি কিছুটা সরল কম্পাঙ্ক তরঙ্গের চাপ গাঁটে চাপশূন্য অবস্থার সঙ্গে তুলনীয়।
উদাহরণস্বরূপ ১ মেগাহার্টজ শব্দোত্তর রশ্মি জলীয় মাধ্যমে ১ সেন্টিমিটার ব্যাসার্ধের ট্রান্সডিউসার দিয়ে প্রেরণ করা হলে নির্দেশিকা ফাংশন এবং শব্দ তীব্রতা কীভাবে পার্শ্ব-লোব তৈরি করে তা দেখা যায়। নিচের চিত্র ২ এ নির্দেশিকা ফাংশন দেখানো হয়েছে এবং চিত্র ৩ এ ট্রান্সডিউসারের পৃষ্ঠে তীব্রতার তুলনায় শব্দ তীব্রতা চিত্রায়িত হয়েছে।
<br>
[[Image:Beam_Function_1MHz.png|thumb|center|520px| চিত্র ২: জলীয় মাধ্যমে ১ মেগাহার্টজ শব্দোত্তর তরঙ্গ নির্গতকারী ১ সেন্টিমিটার ব্যাসার্ধের ট্রান্সডিউসারের জন্য রশ্মি ফাংশন।]]
[[Image:1MHz_Ultrasound_Intensity.png|thumb|center|520px| চিত্র ৩: জলীয় মাধ্যমে ১ মেগাহার্টজ শব্দোত্তর তরঙ্গ নির্গতকারী ১ সেন্টিমিটার ব্যাসার্ধের ট্রান্সডিউসারের শব্দ তীব্রতার স্বাভাবিকৃত ক্ষেত্র।]]
চিকিৎসা-সংক্রান্ত আল্ট্রাসাউন্ড ব্যবহারের ক্ষেত্রে সাইড লোব একটি অপ্রত্যাশিত প্রভাব হিসেবে বিবেচিত হয়। ডায়াগনস্টিক ইমেজিংয়ে সাইড লোব থেকে প্রতিফলিত তরঙ্গগুলো প্রধান বিম থেকে প্রতিফলনের মতো ভুলভাবে ব্যাখ্যা করা হতে পারে। এর ফলে ইমেজের গুণমান কমে যায়। চিকিৎসা-সংক্রান্ত কাজে সাইড লোব এমন এলাকায় শক্তি ছড়িয়ে দেয় যেখানে প্রভাব ফেলার উদ্দেশ্য থাকে না। এই সমস্যাগুলো কমানোর জন্য আল্ট্রাসাউন্ড যন্ত্রে [http://en.wikipedia.org/wiki/Beamforming বিমফর্মিং] তত্ত্বের ভিত্তিতে ট্রান্সডিউসার ডিজাইন করা হয়। যা সাধারণ নলাকার ট্রান্সডিউসারের তুলনায় বিশ্লেষণকে অনেক জটিল করে তোলে। সাইড লোব কমানোর একটি কৌশল হলো একটি নির্দিষ্ট গভীরতায় প্রধান বিমকে কেন্দ্রীভূত করতে ফেজড অ্যারে ব্যবহার করা। এর ফলে সাইড লোবার আপেক্ষিক তীব্রতা হ্রাস পায়। আরেকটি কৌশল একোস্টিক শ্যাডোয়িং, ট্রান্সডিউসারের কিনারায় অপেক্ষাকৃত কম তীব্রতার তরঙ্গ প্রেরণ করে সাইড লোব কমায়। যেমনটি পরবর্তী অংশে আলোচনা করা হবে সাইড লোব কমানো এবং ফোকাস বৃদ্ধি করার জন্য নতুন একটি কৌশল হলো আল্ট্রাসাউন্ড বিমে ইচ্ছাকৃতভাবে নন-লিনিয়ার শব্দ প্রভাবের বিবেচনা।<ref name="Cobbold"/><ref name="Duck"/>
== জীব চিকিৎসাবিষয়ে শব্দোত্তর তরঙ্গে অরৈখিক শব্দবিজ্ঞান ==
অনেক ক্ষেত্রে শব্দতত্ত্ব প্রয়োগে তরঙ্গের রৈখিক সম্প্রসারণের ধারণা যথেষ্ট হয়ে থাকে। কিন্তু জীবচিকিৎসাবিষয়ক আল্ট্রাসাউন্ডে শব্দ তরঙ্গের সম্প্রসারণের সময় প্রায়শই একটি ক্রমাগত বিকৃতির সৃষ্টি হয় যা অরৈখিক এবং সীমিত মাত্রার প্রভাবে ঘটে। ডায়াগনস্টিক আল্ট্রাসাউন্ডে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অরৈখিক প্রভাব হলো তরঙ্গে হারমোনিক তৈরি হওয়া। এই অংশের প্রারম্ভিক প্রস্তুতি হিসেবে [[অরৈখিকতার শব্দ প্যারামিটার|অরৈখিক শব্দ প্যারামিটার]] এবং [[হারমোনিক শব্দ উৎপত্তি|হারমোনিক শব্দ উৎপত্তি]] সম্পর্কে পুনরালোচনা করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
জীব চিকিৎসাবিষয়ক শব্দোত্তর তরঙ্গে প্রাসঙ্গিক অরৈখিকতা তুলনামূলকভাবে দুর্বল। ফলে এদের প্রভাব ধীরে ধীরে দূরত্বের সঙ্গে সঙ্গে জমা হতে থাকে। উল্লেখযোগ্য হারমোনিক তৈরি হওয়ার জন্য চারটি শর্ত পূরণ হওয়া প্রয়োজন:
*প্রচুর পরিমাণে চাপ এবং বেগের তীব্রতা থাকা। জীবচিকিৎসাবিষয়ক প্রায় সব প্রয়োগেই এই শর্ত পূরণ হয়।<ref name="Duck_2010"/>
*পর্যাপ্ত দূরত্ব পর্যন্ত সম্প্রসারণ যেখানে তরঙ্গ প্রায় সমতল থাকে। আল্ট্রাসোনোগ্রাফিতে ব্যবহৃত নির্দেশিত বিমের ক্ষেত্রে, এই শর্ত সাধারণত রেইলি দূরত্ব ''x'' = 1/2 ''ka<sup>2</sup>'' এর মধ্যে মূল লোবের জন্য প্রযোজ্য।<ref name="Hamilton"/> হারমোনিক শব্দ উৎপত্তি প্রকৃতপক্ষে তরঙ্গদৈর্ঘ্যের সংখ্যার সমানুপাতিক, পরম দূরত্বের নয়। উদাহরণস্বরূপ ১০ MHz ফ্রিকোয়েন্সির তরঙ্গ ১০ সেন্টিমিটার গভীরতা পর্যন্ত পৌঁছাতে ৫০০ তরঙ্গদৈর্ঘ্য অতিক্রম করে।
*[[অরৈখিক প্যারামিটার|অরৈখিক প্যারামিটারে]] B/A এর পর্যাপ্ত মান থাকা। একই শব্দ তীব্রতার জন্য যে পদার্থের B/A মান বেশি তা দ্রুত হারমোনিক তৈরি করে। জলে B/A মান বায়ুর চেয়ে দশগুণ বেশি এবং কিছু জীবতন্তু টিস্যুতে এই মান জলের দ্বিগুণ পর্যন্ত হতে পারে।
*কম শব্দ শোষণ, অনেক জীবতন্তু টিস্যুতে যেখানে B/A এর মান বেশি সেখানে শব্দ শোষণও বেশি হয়ে থাকে। কারণ উচ্চ ফ্রিকোয়েন্সিতে তরঙ্গ দ্রুত শোষিত হয়। ফলে তৈরি হওয়া হারমোনিক মূল ফ্রিকোয়েন্সির তুলনায় সহজেই শোষিত হয়। এই প্রভাবের ফলে জীবতন্তু টিস্যুতে B/A এর প্রভাব কমে যায়।
এই শর্তগুলো পর্যালোচনা করলে বোঝা যায় অনেক ক্ষেত্রে জীব চিকিৎসাবিষয়ক আল্ট্রাসাউন্ডে উল্লেখযোগ্য হারমোনিক তৈরি হয়। এই হারমোনিক তৈরি ব্যবহার করে দুটি গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োগ গড়ে উঠছে:
*শব্দোত্তর তরঙ্গে রেকর্ড করা সংকেতে হারমোনিক উপাদান ব্যবহার। কারণ শব্দ তীব্রতা এবং সম্প্রসারণের দূরত্ব মূল লোবেই সবচেয়ে বেশি তাই হারমোনিক মূলত মূল লোবেই বেশি তৈরি হয় এবং সাইড লোবগুলোতে কম হয়। ফলে দ্বিতীয় হারমোনিক দ্বারা তৈরি বিমের দিকনির্দেশনা ক্ষমতা মূল ফ্রিকোয়েন্সির বিমের চেয়ে বেশি হয়। এতে ইমেজের মান উন্নত করা সম্ভব হয়।<ref name="Duck"/>
*টিস্যুর বৈশিষ্ট্য নির্ধারণে B/A প্যারামিটার ব্যবহার করে হারমোনিক প্রোফাইল বিশ্লেষণ। [[অরৈখিকতার প্যারামিটার|অরৈখিক প্যারামিটার]] অনুযায়ী একই শব্দ প্রতিবন্ধকতা থাকা সত্ত্বেও বিভিন্ন টিস্যুর B/A মান ভিন্ন হয়। এর ফলে আল্ট্রাসাউন্ড তরঙ্গের হারমোনিক উপাদান টিস্যুর B/A মানের ভিত্তিতে চিত্র তৈরি করতে পারে। এই ধারণার ব্যবহারিক প্রয়োগ এখনো উন্নয়ন পর্যায়ে আছে, কারণ বর্তমান ইমেজিং প্রযুক্তি এখনো এই সম্ভাবনাকে সম্পূর্ণভাবে কাজে লাগাতে পারেনি।<ref name="Duck_2010"/>
== বহিঃসংযোগ ==
* [http://www.piezotechnologies.com/Resources/White-Papers.aspx মেডিকেল আল্ট্রাসনিক ট্রান্সডিউসার]
== তথ্যসূত্র ==
{{reflist|refs=
<ref name = "Pierce" >Pierce, A. D. 1989. Radiation from Sources Near and on Solid Surfaces. In Acoustics : An Introduction to its Physical Principles and Applications. Woodbury, N.Y., Acoustical Society of America.</ref>
<ref name = "Pierce_sd" >Pierce, A. D. 1989. Scattering and Diffraction. In Acoustics : An Introduction to its Physical Principles and Applications. Woodbury, N.Y., Acoustical Society of America.</ref>
<ref name="Kinsler">Kinsler, L. E., Frey, A. R., Coppens, A. B., Sanders, J. V. 2000.Radiation and Reception of Acoustic Waves. In Fundamentals of Acoustics. New York, Wiley.</ref>
<ref name="Kinsler_rt">Kinsler, L. E., Frey, A. R., Coppens, A. B., Sanders, J. V. 2000. Reflection and Transmission. In Fundamentals of Acoustics. New York, Wiley.</ref>
<ref name="Cheeke">Cheeke, J. D. N. 2002. Finite Beams, Radiation, Diffraction, and Scattering. In Fundamentals and Applications of Ultrasonic Waves. Boca Raton, CRC Press.</ref>
<ref name="Cobbold">Cobbold, R. S. C. 2007. Foundations of Biomedical Ultrasound. Nonlinear Ultrasonics. Oxford University Press.</ref>
<ref name="Cobbold_ia">Cobbold, R. S. C. 2007. Ultrasound Imaging Arrays. In Foundations of Biomedical Ultrasound. Nonlinear Ultrasonics. Oxford University Press.</ref>
<ref name="Cobbold_su">Cobbold, R. S. C. 2007. Scattering of Ultrasound. In Foundations of Biomedical Ultrasound. Nonlinear Ultrasonics. Oxford University Press.</ref>
<ref name ="Duck">Duck, F. A. 2002. "Nonlinear Acoustics in Diagnostic Ultrasound." Ultrasound in Medicine & Biology 28(1).</ref>
<ref name ="Wiki_sono">Wikipedia, 2010. "Medical Ultrasonography”</ref>
<ref name="Kremkau">Kremkau, F. W. 2002. Diagnostic Ultrasound : Principles and Instruments. Philadelphia, W.B. Saunders</ref>
<ref name="Hamilton">Hamilton, M. F., Blackstock, D. T. 2008. Sound Beams. In Nonlinear Acoustics. Melville, NY, Acoustical Society of America.</ref>
<ref name="Duck_2010">Duck, F. 2010. Tissue non-linearity. Proceedings of the Institution of Mechanical Engineers, Part H: Journal of Engineering in Medicine 224(2).</ref>
}}
0q6zm2ztm7rigwr0bvyjrs9l97p61ud
84665
84664
2025-06-17T18:57:35Z
Asikur.rahman25
11164
84665
wikitext
text/x-wiki
{{Engineering Acoustics}}
== জৈব-চিকিৎসা শব্দোত্তর তরঙ্গ ==
প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান উইকিবইয়ের এই অধ্যায়ে জৈব-চিকিৎসা শব্দোত্তর তরঙ্গের প্রয়োগগুলোর সংক্ষিপ্ত পরিচিতি এবং শব্দোত্তর রশ্মির জন্য কিছু প্রাথমিক শব্দতাত্ত্বিক বিশ্লেষণ উপস্থাপন করা হয়েছে। পুরো জৈব-চিকিৎসা শব্দোত্তর তরঙ্গ ক্ষেত্রটি নানা মৌলিক শাস্ত্রের সমন্বয়ে গঠিত এবং এতে বহু বিষয়ে গবেষণার সুযোগ রয়েছে। তাই এই সংক্ষিপ্ত লেখাটি শব্দোত্তর তরঙ্গের সব দিক আলোচনা করে না। বরং এটি পাঠকদের একটি প্রাথমিক ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করে, যাতে আগ্রহীরা এই বিষয়ে আরও বিস্তারিতভাবে অধ্যয়ন করতে পারেন। যাঁরা আরও গভীরভাবে জানতে চান তাঁদের জন্য কোবোল্ড এর ২০০৭ সালের গ্রন্থটি <ref name="Cobbold"/> সুপারিশ করা হয়েছে।
== রোগনির্ণয়ে প্রয়োগ ==
জৈব-চিকিৎসা শব্দোত্তর তরঙ্গের সবচেয়ে পরিচিত প্রয়োগ হলো চিকিৎসা চিত্রায়ন যাকে শব্দোত্তর চিত্রায়ন বা আল্ট্রাসনোগ্রাফি বলা হয়। শব্দোত্তর চিত্রায়নের নির্দিষ্ট প্রয়োগগুলোর তালিকার জন্য সংশ্লিষ্ট [[w:Medical ultrasonography|উইকিপিডিয়া নিবন্ধ]]টি দেখুন। নিচের অংশে শব্দোত্তর চিত্র তৈরির জন্য যে শব্দতাত্ত্বিক প্রক্রিয়া ব্যবহৃত হয় তা গুণগতভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
একটি শব্দোত্তর তরঙ্গ ট্রান্সডিউসার স্বল্পস্থায়ী উচ্চ কম্পাঙ্কের শব্দ তরঙ্গ নির্গত করে। প্রয়োগ অনুযায়ী এই তরঙ্গের কম্পাঙ্ক ১ মেগাহার্টজ থেকে ১৫ মেগাহার্টজ পর্যন্ত হতে পারে।<ref name="Kremkau"/> নির্গত শব্দ তরঙ্গ যখন শরীরের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে, তখন শব্দ প্রতিবন্ধকতার (''ρc'') পার্থক্যের ক্ষেত্রে আংশিক প্রতিফলন বা বিকিরণ ঘটে। চিকিৎসা চিত্রায়নের প্রসঙ্গে, এটি ঘটে শরীরের যেখানে ঘনত্বের তারতম্য রয়েছে যেমন হাড় ও পেশির সংযোগস্থলে, রক্তরসের মধ্যে রক্তকণিকা, অঙ্গের ছোট গঠন ইত্যাদিতে।<ref name="Wiki_sono"/>
প্রতিফলিত তরঙ্গের আচরণ নির্ভর করে প্রতিফলক গঠনের আকার এবং প্রেরিত শব্দ তরঙ্গের তরঙ্গদৈর্ঘ্যের উপর। যদি তরঙ্গদৈর্ঘ্য ছোট হয়, তাহলে প্রতিফলন ঘটে শব্দ পরিবাহিতা ও প্রতিফলনের নিয়ম অনুযায়ী তা স্বাভাবিক হোক বা তির্যক।<ref name="Kinsler_rt"/> আর যদি তরঙ্গদৈর্ঘ্য প্রতিফলক গঠনের তুলনায় বড় হয়, তখন শব্দ বিকিরণের নিয়ম প্রযোজ্য হয়।<ref name="Pierce_sd"/> এই দ্বিতীয় অবস্থা, যা ছোট প্রতিফলন উৎসের ক্ষেত্রে ঘটে, সেটিই নির্ধারণ করে শব্দোত্তর চিত্রায়নে কোন কম্পাঙ্ক ব্যবহার করা হবে। কোবোল্ড এর বিশ্লেষণ অনুযায়ী,<ref name="Cobbold_su"/> একটি সমতল তরঙ্গ যখন একটি গোলীয় প্রতিফলক উৎসে পড়ে যার কার্যকর ব্যাসার্ধ ''a'', তখন বিকিরিত তরঙ্গের শব্দ তীব্রতা, ''I<sub>s</sub>'', পরিবর্তিত হয় এই সূত্র অনুযায়ী:
<br>
:<math>
I_s \propto \frac{a^6}{\lambda ^4}
</math>
এই সূত্রটি দেখায়, যখন তরঙ্গদৈর্ঘ্য প্রতিফলক উৎসের তুলনায় বড় হয়, তখন প্রতিফলিত শক্তি খুব কম হয়ে যায়। ফলে ট্রান্সডিউসারে উল্লেখযোগ্য প্রতিফলিত তরঙ্গ ফেরত আসে না। শব্দোত্তর চিত্রে একটি গঠন স্পষ্টভাবে ধরতে হলে, নির্গত তরঙ্গের তরঙ্গদৈর্ঘ্য সেই গঠনের চেয়ে ছোট হতে হবে। তরঙ্গদৈর্ঘ্য নির্বাচন করতে গিয়ে আরও কিছু বিষয় বিবেচনা করতে হয়: যেহেতু শব্দ তরঙ্গ পরিবাহনের পথে ক্ষয়প্রাপ্ত হয়, তাই কম কম্পাঙ্ক বেশি গভীরে ছবি তুলতে সাহায্য করে। অন্যদিকে, বেশি কম্পাঙ্ক (ছোট তরঙ্গদৈর্ঘ্য) নির্গত রশ্মিকে সরু ফোকাসে কেন্দ্রীভূত করতে সহায়তা করে।<ref name="Kremkau"/> নিচের টেবিলে বিভিন্ন কম্পাঙ্কে পানিতে তরঙ্গদৈর্ঘ্যের সঙ্গে সম্পর্ক দেখানো হয়েছে (''λ'' = ''c''/''f'')।
<br>
{| class="wikitable" style="text-align: center;" align="center"
|+ টেবিল ১: চিকিৎসা ক্ষেত্রে ব্যবহৃত শব্দোত্তর তরঙ্গের কম্পাঙ্ক ও সংশ্লিষ্ট তরঙ্গদৈর্ঘ্য।
|-
| কম্পাঙ্ক (মেগাহার্টজ) || ১ || ২ || ৫ || ৮ || ১০ || ১২ || ১৫
|-
| তরঙ্গদৈর্ঘ্য (মিলিমিটার) || ১.৫০ || ০.৭৫ || ০.৩০ || ০.১৯ || ০.১৫ || ০.১৩ || ০.১০
|}
তরঙ্গ নির্গত হওয়ার পর শব্দোত্তর ট্রান্সডিউসার একটি গ্রাহকের মতো কাজ করতে পারে—যেমন একটি মাইক্রোফোন বা হাইড্রোফোন। প্রতিফলিত তরঙ্গ বা ঘনত্ব পরিবর্তনের কারণে ফিরে আসা তরঙ্গ ট্রান্সডিউসারে এসে রেকর্ড হয়। প্রেরিত ও প্রাপ্ত সংকেতের মধ্যকার সময় ব্যবধান থেকে প্রতিফলন উৎসের দূরত্ব নির্ণয় করা যায়। আর প্রাপ্ত সংকেতের তীব্রতা থেকে প্রতিফলনের শাব্দিক প্রতিবন্ধকতা এবং আকার সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়।<ref name="Wiki_sono"/> যেখানে ডপলার শব্দোত্তর চিত্রায়ন ব্যবহার করা হয়, সেখানে প্রেরিত ও প্রাপ্ত সংকেতের কম্পাঙ্ক পরিবর্তন থেকে প্রতিফলক উৎসের গতি নির্ধারণ করা যায়।
আধুনিক শব্দোত্তর চিত্রায়নে ছোট ছোট অনেক ট্রান্সডিউসারের সমষ্টি ব্যবহার করা হয়, যেগুলোর প্রতিটি আলাদাভাবে ইলেকট্রনিকভাবে নিয়ন্ত্রিত হয় [[w:Beamforming|বিমফর্মিং]] নামের একটি কৌশল ব্যবহার করে। এই পদ্ধতিতে, প্রতিটি ট্রান্সডিউসারের তরঙ্গের ধাপের সম্পর্ক নিয়ন্ত্রণ করে নির্গত রশ্মির দিক ও ফোকাস গভীরতা নিয়ন্ত্রণ করা যায়।<ref name="Cobbold_ia"/> একটি দ্বিমাত্রিক শব্দোত্তর চিত্র তৈরি করতে হলে, রশ্মির ফোকাল অবস্থান একটি অঞ্চলের মধ্যে ধীরে ধীরে সরানো হয় এবং প্রতিফলিত তরঙ্গগুলো রেকর্ড করে সেই নির্দিষ্ট অবস্থানের সঙ্গে সংযুক্ত করা হয়। এই সাধারণ প্রক্রিয়াটি বিভিন্ন যন্ত্রে ভিন্নভাবে সম্পন্ন হয়। নিচে একটি ২-মাত্রিক শব্দোত্তর চিত্র দেখানো হয়েছে, যা ফোকাস অঞ্চল সরিয়ে নেওয়ার মাধ্যমে তৈরি হয়েছে।
<br>
[[Image:CRL Crown rump length 12 weeks ecografia Dr. Wolfgang Moroder.jpg|thumb|center|420px|চিত্র ১: ২-মাত্রিক গর্ভকালীন শব্দোত্তর তরঙ্গ চিত্র।]]
== ক্লিনিকাল ও চিকিৎসামূলক প্রয়োগ ==
উচ্চ তীব্রতাসম্পন্ন কেন্দ্রীভূত শব্দোত্তর তরঙ্গ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ক্লিনিকাল ও চিকিৎসামূলক প্রয়োগে ব্যবহৃত হয়। এই ধরনের প্রয়োগে সাধারণত উচ্চ তীব্রতার শব্দ তরঙ্গের অপচয়ের ফলে যে তাপ উৎপন্ন হয় সেটাই চিকিৎসার মূল কার্যকারিতা তৈরি করে। কিছু ক্ষেত্রে যেমন [[w:লিথোট্রিপসি|লিথোট্রিপসি]] তে চিকিৎসামূলক প্রভাব শব্দ তরঙ্গের অরৈখিকতার কারণে সৃষ্টি হয়। এতে [[তরঙ্গ বিকৃতি|তরঙ্গ বিকৃতি]] ও [[ঘাত তরঙ্গের গঠন|ঘাত তরঙ্গ]] তৈরি হয়। এই প্রভাব সম্পর্কে [[#পরবর্তী এক খণ্ডে|পরবর্তী এক খণ্ডে]] আরও বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
নিচে শব্দোত্তর তরঙ্গের কয়েকটি চিকিৎসামূলক প্রয়োগের আংশিক তালিকা দেওয়া হলো:
* [[w:ডেন্টাল হাইজেনিস্ট|ডেন্টাল হাইজেনিস্ট]] পেশায় দাঁত পরিষ্কারের জন্য শব্দোত্তর তরঙ্গ কখনো কখনো ব্যবহার করা হয়।
* কেন্দ্রীভূত শব্দোত্তর তরঙ্গ ব্যবহার করে নির্দিষ্ট স্থানে উচ্চ তাপ উৎপন্ন করে সিস্ট ও টিউমার (সৌম্য বা মারাত্মক) চিকিৎসা করা হয়। একে ফোকাসড আল্ট্রাসাউন্ড সার্জারি বা উচ্চ তীব্রতা কেন্দ্রিক শব্দোত্তর বলা হয়। এই প্রক্রিয়ায় সাধারণত চিকিৎসা-নির্ণয়ের শব্দোত্তর তরঙ্গের চেয়ে কম কম্পাঙ্ক (২৫০ কিলোহার্টজ থেকে ২০০০ কিলোহার্টজ পর্যন্ত) ব্যবহার করা হলেও, এর শক্তি অনেক বেশি হয়।
* লিথোট্রিপসি ব্যবহার করে কিডনির পাথর ভাঙার জন্য কেন্দ্রীভূত শব্দোত্তর তরঙ্গ ব্যবহার করা হয়।
* [[w:ফ্যাকোইমালসিফিকেশন|ফ্যাকোইমালসিফিকেশন]] পদ্ধতিতে ছানির চিকিৎসায় শব্দোত্তর তরঙ্গ ব্যবহার করা হয়।
* [[W:নিম্ন-তীব্রতার শব্দোত্তর তরঙ্গ|নিম্ন-তীব্রতার শব্দোত্তর তরঙ্গের]] আরও কিছু শারীরবৃত্তীয় প্রভাব সম্প্রতি আবিষ্কৃত হয়েছে, যেমন হাড়ের বৃদ্ধি উদ্দীপিত করা এবং ওষুধ পরিবহনের জন্য [[w:রক্ত-মস্তিষ্ক প্রতিবন্ধক|রক্ত-মস্তিষ্ক প্রতিবন্ধক]] অতিক্রমের সম্ভাবনা।
== শব্দোত্তর রশ্মির শব্দতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য ==
প্রাথমিকভাবে ধরে নেওয়া যায় শব্দোত্তর রশ্মি একটি অনন্ত বাফলে একটি সমতল বৃত্তাকার পিস্টন দোলনের ফলে উৎপন্ন হয়। বাস্তবে এ ধরনের ব্যবস্থায় শব্দ রশ্মির অনেক বেশি বিস্তার পার্শ্ব-লোবের তীব্রতা এবং নির্দিষ্ট ফোকাল দৈর্ঘ্য নির্ধারণের অক্ষমতা দেখা দেয়। বর্তমান চিকিৎসা ক্ষেত্রে বিমফর্মিং নামে পরিচিত একটি সাধারণ পদ্ধতির অংশ হিসেবে ফেজড অ্যারে ব্যবহার করা হয়। যদিও সমতল ট্রান্সডিউসারগুলোর কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে তবে এগুলোর সহজ বিশ্লেষণের মাধ্যমে গঠিত যে কোনো রশ্মির মৌলিক বৈশিষ্ট্য ও উন্নত প্রযুক্তির নকশার চ্যালেঞ্জ বোঝানো যায়।
সরল বৃত্তাকার ট্রান্সডিউসারের জন্য ব্যবহৃত বিশ্লেষণ পদ্ধতিটি পিয়ার্স,<ref name="Pierce"/> কিনসলার <ref name="Kinsler"/> এবং চিকি<ref name="Cheeke"/> এর মতো বহু শব্দতত্ত্ব গ্রন্থে দেখা যায়। এখানে প্রথমে মুক্ত বায়ুতে কম্পমান একটি ছোট গোলকীয় উৎসের হারমোনিক গতি থেকে নির্গত শব্দ বিবেচনা করে শব্দ ক্ষেত্র নির্ধারণ করা হয়। সেই উৎস থেকে প্রাপ্ত শব্দ চাপ ক্ষেত্র নিম্নরূপ:
<br>
:<math>
\boldsymbol{P} = i\left(\frac{\rho_o c U_o k a^2}{r} \right )e^{-ikr}
</math>
:<math>
I(r) = \frac{1}{2}\rho_o c_o U_o^2 \left(\frac{a}{r} \right )^2 \left(ka \right )^2
</math>
এখানে '''''P'''''(''r'') হলো রেডিয়াল দূরত্ব ''r'' এ হারমোনিক চাপের পরিমাণ ''ρ<sub>o</sub>'' হলো তরলের ঘনত্ব, ''c<sub>o</sub>'' তরলের শব্দের বেগ, ''U<sub>o</sub>'' হলো গোলক উৎসের সর্বাধিক বেগ, ''a'' হলো গোলকের ব্যাসার্ধ, এবং ''k'' = 2''πf''/''c<sub>o</sub>'' হলো তরঙ্গ সংখ্যা। উপরের সমীকরণগুলোতে ''i'' = -1<sup>1/2</sup> যা হারমোনিক চাপ ভেরিয়েবলে প্রশস্ততা ও ধাপ উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে।
এই ফলাফলটি ট্রান্সডিউসারকে একটি বৃত্তাকার রেডিয়েটর হিসেবে প্রয়োগ করতে হলে প্রতিটি অতি ক্ষুদ্র অংশকে একটি আলাদা গোলীয় উৎস হিসেবে ধরা যায়। এর ফলে গঠিত শব্দ ক্ষেত্র হলো প্রতিটি গোলীয় উৎসের ইন্টিগ্রাল যোগফল। সাধারণভাবে এ ধরনের সমীকরণ বিশ্লেষণমূলকভাবে সমাধান করা যায় না। তবে যখন r >> a (যেখানে ''a'' হলো এখন ট্রান্সডিউসারের ব্যাসার্ধ) ধরা হয় তখন একটি সরল ফলাফল পাওয়া যায়। পুরো ডেরিভেশন এখানে না দিয়ে (বিশদ দেখতে কিনসলার <ref name="Kinsler"/> অথবা চিকি <ref name="Cheeke"/> দেখুন) শব্দ ক্ষেত্র এবং শব্দ তীব্রতার সমীকরণগুলো হলো:
<br>
:<math>
\boldsymbol{P}(r, \theta) = i \left( \tfrac{1}{2}\rho_o c_o U_o \frac{a}{r}ka \right ) H(\theta)e^{-ikr},
</math>
:<math>
H(\theta) = \frac{2J_1(ka\sin\theta)}{ka \sin \theta},
</math>
:<math>
I(r,\theta) = \frac{|\boldsymbol{P}(r)|^2}{2\rho_oc_o},
</math>
এখানে ''H''(''θ'') হলো নির্দেশিকা ফাংশন ''J<sub>1</sub>'' হলো [http://en.wikipedia.org/wiki/Bessel_function প্রথম প্রকারের বেসেল ফাংশন] এবং ''I''(''r'') হলো W/m<sup>2</sup> এককে শব্দ তীব্রতা। বাস্তবিক অর্থে নির্দেশিকা ফাংশনটি রশ্মির সেই সকল কোণে চাপের পরিমাণ দেখায় যা ট্রান্সডিউসারের অক্ষ বরাবর নয়। বেশেল ফাংশনের মূল যেসব কোণে চাপ শূন্য করে সেগুলো পার্শ্ব-লোব নামে পরিচিত। এই কোণগুলোর মধ্যবর্তী অঞ্চলে থাকে পার্শ্ব-লোব আর অক্ষ বরাবর যে অংশ থাকে তা মূল লোব নামে পরিচিত। বাস্তবে এই লোবগুলো সৃষ্টি হয় ট্রান্সডিউসারের বিভিন্ন অংশ থেকে নির্গত তরঙ্গগুলোর ধাপীয় মিথস্ক্রিয়ার ফলে। এটি কিছুটা সরল কম্পাঙ্ক তরঙ্গের চাপ গাঁটে চাপশূন্য অবস্থার সঙ্গে তুলনীয়।
উদাহরণস্বরূপ ১ মেগাহার্টজ শব্দোত্তর রশ্মি জলীয় মাধ্যমে ১ সেন্টিমিটার ব্যাসার্ধের ট্রান্সডিউসার দিয়ে প্রেরণ করা হলে নির্দেশিকা ফাংশন এবং শব্দ তীব্রতা কীভাবে পার্শ্ব-লোব তৈরি করে তা দেখা যায়। নিচের চিত্র ২ এ নির্দেশিকা ফাংশন দেখানো হয়েছে এবং চিত্র ৩ এ ট্রান্সডিউসারের পৃষ্ঠে তীব্রতার তুলনায় শব্দ তীব্রতা চিত্রায়িত হয়েছে।
<br>
[[Image:Beam_Function_1MHz.png|thumb|center|520px| চিত্র ২: জলীয় মাধ্যমে ১ মেগাহার্টজ শব্দোত্তর তরঙ্গ নির্গতকারী ১ সেন্টিমিটার ব্যাসার্ধের ট্রান্সডিউসারের জন্য রশ্মি ফাংশন।]]
[[Image:1MHz_Ultrasound_Intensity.png|thumb|center|520px| চিত্র ৩: জলীয় মাধ্যমে ১ মেগাহার্টজ শব্দোত্তর তরঙ্গ নির্গতকারী ১ সেন্টিমিটার ব্যাসার্ধের ট্রান্সডিউসারের শব্দ তীব্রতার স্বাভাবিকৃত ক্ষেত্র।]]
চিকিৎসা-সংক্রান্ত আল্ট্রাসাউন্ড ব্যবহারের ক্ষেত্রে সাইড লোব একটি অপ্রত্যাশিত প্রভাব হিসেবে বিবেচিত হয়। ডায়াগনস্টিক ইমেজিংয়ে সাইড লোব থেকে প্রতিফলিত তরঙ্গগুলো প্রধান বিম থেকে প্রতিফলনের মতো ভুলভাবে ব্যাখ্যা করা হতে পারে। এর ফলে ইমেজের গুণমান কমে যায়। চিকিৎসা-সংক্রান্ত কাজে সাইড লোব এমন এলাকায় শক্তি ছড়িয়ে দেয় যেখানে প্রভাব ফেলার উদ্দেশ্য থাকে না। এই সমস্যাগুলো কমানোর জন্য আল্ট্রাসাউন্ড যন্ত্রে [http://en.wikipedia.org/wiki/Beamforming বিমফর্মিং] তত্ত্বের ভিত্তিতে ট্রান্সডিউসার ডিজাইন করা হয়। যা সাধারণ নলাকার ট্রান্সডিউসারের তুলনায় বিশ্লেষণকে অনেক জটিল করে তোলে। সাইড লোব কমানোর একটি কৌশল হলো একটি নির্দিষ্ট গভীরতায় প্রধান বিমকে কেন্দ্রীভূত করতে ফেজড অ্যারে ব্যবহার করা। এর ফলে সাইড লোবার আপেক্ষিক তীব্রতা হ্রাস পায়। আরেকটি কৌশল একোস্টিক শ্যাডোয়িং, ট্রান্সডিউসারের কিনারায় অপেক্ষাকৃত কম তীব্রতার তরঙ্গ প্রেরণ করে সাইড লোব কমায়। যেমনটি পরবর্তী অংশে আলোচনা করা হবে সাইড লোব কমানো এবং ফোকাস বৃদ্ধি করার জন্য নতুন একটি কৌশল হলো আল্ট্রাসাউন্ড বিমে ইচ্ছাকৃতভাবে নন-লিনিয়ার শব্দ প্রভাবের বিবেচনা।<ref name="Cobbold"/><ref name="Duck"/>
== জীব চিকিৎসাবিষয়ে শব্দোত্তর তরঙ্গে অরৈখিক শব্দবিজ্ঞান ==
অনেক ক্ষেত্রে শব্দতত্ত্ব প্রয়োগে তরঙ্গের রৈখিক সম্প্রসারণের ধারণা যথেষ্ট হয়ে থাকে। কিন্তু জীবচিকিৎসাবিষয়ক আল্ট্রাসাউন্ডে শব্দ তরঙ্গের সম্প্রসারণের সময় প্রায়শই একটি ক্রমাগত বিকৃতির সৃষ্টি হয় যা অরৈখিক এবং সীমিত মাত্রার প্রভাবে ঘটে। ডায়াগনস্টিক আল্ট্রাসাউন্ডে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অরৈখিক প্রভাব হলো তরঙ্গে হারমোনিক তৈরি হওয়া। এই অংশের প্রারম্ভিক প্রস্তুতি হিসেবে [[অরৈখিকতার শব্দ প্যারামিটার|অরৈখিক শব্দ প্যারামিটার]] এবং [[হারমোনিক শব্দ উৎপত্তি|হারমোনিক শব্দ উৎপত্তি]] সম্পর্কে পুনরালোচনা করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
জীব চিকিৎসাবিষয়ক শব্দোত্তর তরঙ্গে প্রাসঙ্গিক অরৈখিকতা তুলনামূলকভাবে দুর্বল। ফলে এদের প্রভাব ধীরে ধীরে দূরত্বের সঙ্গে সঙ্গে জমা হতে থাকে। উল্লেখযোগ্য হারমোনিক তৈরি হওয়ার জন্য চারটি শর্ত পূরণ হওয়া প্রয়োজন:
*প্রচুর পরিমাণে চাপ এবং বেগের তীব্রতা থাকা। জীবচিকিৎসাবিষয়ক প্রায় সব প্রয়োগেই এই শর্ত পূরণ হয়।<ref name="Duck_2010"/>
*পর্যাপ্ত দূরত্ব পর্যন্ত সম্প্রসারণ যেখানে তরঙ্গ প্রায় সমতল থাকে। আল্ট্রাসোনোগ্রাফিতে ব্যবহৃত নির্দেশিত বিমের ক্ষেত্রে, এই শর্ত সাধারণত রেইলি দূরত্ব ''x'' = 1/2 ''ka<sup>2</sup>'' এর মধ্যে মূল লোবের জন্য প্রযোজ্য।<ref name="Hamilton"/> হারমোনিক শব্দ উৎপত্তি প্রকৃতপক্ষে তরঙ্গদৈর্ঘ্যের সংখ্যার সমানুপাতিক, পরম দূরত্বের নয়। উদাহরণস্বরূপ ১০ MHz ফ্রিকোয়েন্সির তরঙ্গ ১০ সেন্টিমিটার গভীরতা পর্যন্ত পৌঁছাতে ৫০০ তরঙ্গদৈর্ঘ্য অতিক্রম করে।
*[[অরৈখিক প্যারামিটার|অরৈখিক প্যারামিটারে]] B/A এর পর্যাপ্ত মান থাকা। একই শব্দ তীব্রতার জন্য যে পদার্থের B/A মান বেশি তা দ্রুত হারমোনিক তৈরি করে। জলে B/A মান বায়ুর চেয়ে দশগুণ বেশি এবং কিছু জীবতন্তু টিস্যুতে এই মান জলের দ্বিগুণ পর্যন্ত হতে পারে।
*কম শব্দ শোষণ, অনেক জীবতন্তু টিস্যুতে যেখানে B/A এর মান বেশি সেখানে শব্দ শোষণও বেশি হয়ে থাকে। কারণ উচ্চ ফ্রিকোয়েন্সিতে তরঙ্গ দ্রুত শোষিত হয়। ফলে তৈরি হওয়া হারমোনিক মূল ফ্রিকোয়েন্সির তুলনায় সহজেই শোষিত হয়। এই প্রভাবের ফলে জীবতন্তু টিস্যুতে B/A এর প্রভাব কমে যায়।
এই শর্তগুলো পর্যালোচনা করলে বোঝা যায় অনেক ক্ষেত্রে জীব চিকিৎসাবিষয়ক আল্ট্রাসাউন্ডে উল্লেখযোগ্য হারমোনিক তৈরি হয়। এই হারমোনিক তৈরি ব্যবহার করে দুটি গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োগ গড়ে উঠছে:
*শব্দোত্তর তরঙ্গে রেকর্ড করা সংকেতে হারমোনিক উপাদান ব্যবহার। কারণ শব্দ তীব্রতা এবং সম্প্রসারণের দূরত্ব মূল লোবেই সবচেয়ে বেশি তাই হারমোনিক মূলত মূল লোবেই বেশি তৈরি হয় এবং সাইড লোবগুলোতে কম হয়। ফলে দ্বিতীয় হারমোনিক দ্বারা তৈরি বিমের দিকনির্দেশনা ক্ষমতা মূল ফ্রিকোয়েন্সির বিমের চেয়ে বেশি হয়। এতে ইমেজের মান উন্নত করা সম্ভব হয়।<ref name="Duck"/>
*টিস্যুর বৈশিষ্ট্য নির্ধারণে B/A প্যারামিটার ব্যবহার করে হারমোনিক প্রোফাইল বিশ্লেষণ। [[অরৈখিকতার প্যারামিটার|অরৈখিক প্যারামিটার]] অনুযায়ী একই শব্দ প্রতিবন্ধকতা থাকা সত্ত্বেও বিভিন্ন টিস্যুর B/A মান ভিন্ন হয়। এর ফলে আল্ট্রাসাউন্ড তরঙ্গের হারমোনিক উপাদান টিস্যুর B/A মানের ভিত্তিতে চিত্র তৈরি করতে পারে। এই ধারণার ব্যবহারিক প্রয়োগ এখনো উন্নয়ন পর্যায়ে আছে, কারণ বর্তমান ইমেজিং প্রযুক্তি এখনো এই সম্ভাবনাকে সম্পূর্ণভাবে কাজে লাগাতে পারেনি।<ref name="Duck_2010"/>
== বহিঃসংযোগ ==
* [http://www.piezotechnologies.com/Resources/White-Papers.aspx মেডিকেল আল্ট্রাসনিক ট্রান্সডিউসার]
== তথ্যসূত্র ==
{{reflist|refs=
<ref name = "Pierce" >Pierce, A. D. 1989. Radiation from Sources Near and on Solid Surfaces. In Acoustics : An Introduction to its Physical Principles and Applications. Woodbury, N.Y., Acoustical Society of America.</ref>
<ref name = "Pierce_sd" >Pierce, A. D. 1989. Scattering and Diffraction. In Acoustics : An Introduction to its Physical Principles and Applications. Woodbury, N.Y., Acoustical Society of America.</ref>
<ref name="Kinsler">Kinsler, L. E., Frey, A. R., Coppens, A. B., Sanders, J. V. 2000.Radiation and Reception of Acoustic Waves. In Fundamentals of Acoustics. New York, Wiley.</ref>
<ref name="Kinsler_rt">Kinsler, L. E., Frey, A. R., Coppens, A. B., Sanders, J. V. 2000. Reflection and Transmission. In Fundamentals of Acoustics. New York, Wiley.</ref>
<ref name="Cheeke">Cheeke, J. D. N. 2002. Finite Beams, Radiation, Diffraction, and Scattering. In Fundamentals and Applications of Ultrasonic Waves. Boca Raton, CRC Press.</ref>
<ref name="Cobbold">Cobbold, R. S. C. 2007. Foundations of Biomedical Ultrasound. Nonlinear Ultrasonics. Oxford University Press.</ref>
<ref name="Cobbold_ia">Cobbold, R. S. C. 2007. Ultrasound Imaging Arrays. In Foundations of Biomedical Ultrasound. Nonlinear Ultrasonics. Oxford University Press.</ref>
<ref name="Cobbold_su">Cobbold, R. S. C. 2007. Scattering of Ultrasound. In Foundations of Biomedical Ultrasound. Nonlinear Ultrasonics. Oxford University Press.</ref>
<ref name ="Duck">Duck, F. A. 2002. "Nonlinear Acoustics in Diagnostic Ultrasound." Ultrasound in Medicine & Biology 28(1).</ref>
<ref name ="Wiki_sono">Wikipedia, 2010. "Medical Ultrasonography”</ref>
<ref name="Kremkau">Kremkau, F. W. 2002. Diagnostic Ultrasound : Principles and Instruments. Philadelphia, W.B. Saunders</ref>
<ref name="Hamilton">Hamilton, M. F., Blackstock, D. T. 2008. Sound Beams. In Nonlinear Acoustics. Melville, NY, Acoustical Society of America.</ref>
<ref name="Duck_2010">Duck, F. 2010. Tissue non-linearity. Proceedings of the Institution of Mechanical Engineers, Part H: Journal of Engineering in Medicine 224(2).</ref>
}}
9m5uxnjcy85umdclq44fqu8g59tlrio
84666
84665
2025-06-17T19:01:52Z
Asikur.rahman25
11164
84666
wikitext
text/x-wiki
{{Engineering Acoustics}}
== জৈব-চিকিৎসা শব্দোত্তর তরঙ্গ ==
প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান উইকিবইয়ের এই অধ্যায়ে জৈব-চিকিৎসা শব্দোত্তর তরঙ্গের প্রয়োগগুলোর সংক্ষিপ্ত পরিচিতি এবং শব্দোত্তর রশ্মির জন্য কিছু প্রাথমিক শব্দতাত্ত্বিক বিশ্লেষণ উপস্থাপন করা হয়েছে। পুরো জৈব-চিকিৎসা শব্দোত্তর তরঙ্গ ক্ষেত্রটি নানা মৌলিক শাস্ত্রের সমন্বয়ে গঠিত এবং এতে বহু বিষয়ে গবেষণার সুযোগ রয়েছে। তাই এই সংক্ষিপ্ত লেখাটি শব্দোত্তর তরঙ্গের সব দিক আলোচনা করে না। বরং এটি পাঠকদের একটি প্রাথমিক ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করে, যাতে আগ্রহীরা এই বিষয়ে আরও বিস্তারিতভাবে অধ্যয়ন করতে পারেন। যাঁরা আরও গভীরভাবে জানতে চান তাঁদের জন্য কোবোল্ড এর ২০০৭ সালের গ্রন্থটি <ref name="Cobbold"/> সুপারিশ করা হয়েছে।
== রোগনির্ণয়ে প্রয়োগ ==
জৈব-চিকিৎসা শব্দোত্তর তরঙ্গের সবচেয়ে পরিচিত প্রয়োগ হলো চিকিৎসা চিত্রায়ন যাকে শব্দোত্তর চিত্রায়ন বা আল্ট্রাসনোগ্রাফি বলা হয়। শব্দোত্তর চিত্রায়নের নির্দিষ্ট প্রয়োগগুলোর তালিকার জন্য সংশ্লিষ্ট [[w:Medical ultrasonography|উইকিপিডিয়া নিবন্ধ]]টি দেখুন। নিচের অংশে শব্দোত্তর চিত্র তৈরির জন্য যে শব্দতাত্ত্বিক প্রক্রিয়া ব্যবহৃত হয় তা গুণগতভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
একটি শব্দোত্তর তরঙ্গ রূপান্তরক স্বল্পস্থায়ী উচ্চ কম্পাঙ্কের শব্দ তরঙ্গ নির্গত করে। প্রয়োগ অনুযায়ী এই তরঙ্গের কম্পাঙ্ক ১ মেগাহার্টজ থেকে ১৫ মেগাহার্টজ পর্যন্ত হতে পারে।<ref name="Kremkau"/> নির্গত শব্দ তরঙ্গ যখন শরীরের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে, তখন শব্দ প্রতিবন্ধকতার (''ρc'') পার্থক্যের ক্ষেত্রে আংশিক প্রতিফলন বা বিকিরণ ঘটে। চিকিৎসা চিত্রায়নের প্রসঙ্গে, এটি ঘটে শরীরের যেখানে ঘনত্বের তারতম্য রয়েছে যেমন হাড় ও পেশির সংযোগস্থলে, রক্তরসের মধ্যে রক্তকণিকা, অঙ্গের ছোট গঠন ইত্যাদিতে।<ref name="Wiki_sono"/>
প্রতিফলিত তরঙ্গের আচরণ নির্ভর করে প্রতিফলক গঠনের আকার এবং প্রেরিত শব্দ তরঙ্গের তরঙ্গদৈর্ঘ্যের উপর। যদি তরঙ্গদৈর্ঘ্য ছোট হয়, তাহলে প্রতিফলন ঘটে শব্দ পরিবাহিতা ও প্রতিফলনের নিয়ম অনুযায়ী তা স্বাভাবিক হোক বা তির্যক।<ref name="Kinsler_rt"/> আর যদি তরঙ্গদৈর্ঘ্য প্রতিফলক গঠনের তুলনায় বড় হয়, তখন শব্দ বিকিরণের নিয়ম প্রযোজ্য হয়।<ref name="Pierce_sd"/> এই দ্বিতীয় অবস্থা, যা ছোট প্রতিফলন উৎসের ক্ষেত্রে ঘটে, সেটিই নির্ধারণ করে শব্দোত্তর চিত্রায়নে কোন কম্পাঙ্ক ব্যবহার করা হবে। কোবোল্ড এর বিশ্লেষণ অনুযায়ী,<ref name="Cobbold_su"/> একটি সমতল তরঙ্গ যখন একটি গোলীয় প্রতিফলক উৎসে পড়ে যার কার্যকর ব্যাসার্ধ ''a'', তখন বিকিরিত তরঙ্গের শব্দ তীব্রতা, ''I<sub>s</sub>'', পরিবর্তিত হয় এই সূত্র অনুযায়ী:
<br>
:<math>
I_s \propto \frac{a^6}{\lambda ^4}
</math>
এই সূত্রটি দেখায়, যখন তরঙ্গদৈর্ঘ্য প্রতিফলক উৎসের তুলনায় বড় হয়, তখন প্রতিফলিত শক্তি খুব কম হয়ে যায়। ফলে রূপান্তরকে উল্লেখযোগ্য প্রতিফলিত তরঙ্গ ফেরত আসে না। শব্দোত্তর চিত্রে একটি গঠন স্পষ্টভাবে ধরতে হলে, নির্গত তরঙ্গের তরঙ্গদৈর্ঘ্য সেই গঠনের চেয়ে ছোট হতে হবে। তরঙ্গদৈর্ঘ্য নির্বাচন করতে গিয়ে আরও কিছু বিষয় বিবেচনা করতে হয়: যেহেতু শব্দ তরঙ্গ পরিবাহনের পথে ক্ষয়প্রাপ্ত হয়, তাই কম কম্পাঙ্ক বেশি গভীরে ছবি তুলতে সাহায্য করে। অন্যদিকে, বেশি কম্পাঙ্ক (ছোট তরঙ্গদৈর্ঘ্য) নির্গত রশ্মিকে সরু ফোকাসে কেন্দ্রীভূত করতে সহায়তা করে।<ref name="Kremkau"/> নিচের টেবিলে বিভিন্ন কম্পাঙ্কে পানিতে তরঙ্গদৈর্ঘ্যের সঙ্গে সম্পর্ক দেখানো হয়েছে (''λ'' = ''c''/''f'')।
<br>
{| class="wikitable" style="text-align: center;" align="center"
|+ টেবিল ১: চিকিৎসা ক্ষেত্রে ব্যবহৃত শব্দোত্তর তরঙ্গের কম্পাঙ্ক ও সংশ্লিষ্ট তরঙ্গদৈর্ঘ্য।
|-
| কম্পাঙ্ক (মেগাহার্টজ) || ১ || ২ || ৫ || ৮ || ১০ || ১২ || ১৫
|-
| তরঙ্গদৈর্ঘ্য (মিলিমিটার) || ১.৫০ || ০.৭৫ || ০.৩০ || ০.১৯ || ০.১৫ || ০.১৩ || ০.১০
|}
তরঙ্গ নির্গত হওয়ার পর শব্দোত্তর রূপান্তরক একটি গ্রাহকের মতো কাজ করতে পারে—যেমন একটি মাইক্রোফোন বা হাইড্রোফোন। প্রতিফলিত তরঙ্গ বা ঘনত্ব পরিবর্তনের কারণে ফিরে আসা তরঙ্গ রূপান্তরকে এসে রেকর্ড হয়। প্রেরিত ও প্রাপ্ত সংকেতের মধ্যকার সময় ব্যবধান থেকে প্রতিফলন উৎসের দূরত্ব নির্ণয় করা যায়। আর প্রাপ্ত সংকেতের তীব্রতা থেকে প্রতিফলনের শাব্দিক প্রতিবন্ধকতা এবং আকার সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়।<ref name="Wiki_sono"/> যেখানে ডপলার শব্দোত্তর চিত্রায়ন ব্যবহার করা হয়, সেখানে প্রেরিত ও প্রাপ্ত সংকেতের কম্পাঙ্ক পরিবর্তন থেকে প্রতিফলক উৎসের গতি নির্ধারণ করা যায়।
আধুনিক শব্দোত্তর চিত্রায়নে ছোট ছোট অনেক রূপান্তরকের সমষ্টি ব্যবহার করা হয়, যেগুলোর প্রতিটি আলাদাভাবে ইলেকট্রনিকভাবে নিয়ন্ত্রিত হয় [[w:Beamforming|বিমফর্মিং]] নামের একটি কৌশল ব্যবহার করে। এই পদ্ধতিতে, প্রতিটি রূপান্তরকের তরঙ্গের ধাপের সম্পর্ক নিয়ন্ত্রণ করে নির্গত রশ্মির দিক ও ফোকাস গভীরতা নিয়ন্ত্রণ করা যায়।<ref name="Cobbold_ia"/> একটি দ্বিমাত্রিক শব্দোত্তর চিত্র তৈরি করতে হলে, রশ্মির ফোকাল অবস্থান একটি অঞ্চলের মধ্যে ধীরে ধীরে সরানো হয় এবং প্রতিফলিত তরঙ্গগুলো রেকর্ড করে সেই নির্দিষ্ট অবস্থানের সঙ্গে সংযুক্ত করা হয়। এই সাধারণ প্রক্রিয়াটি বিভিন্ন যন্ত্রে ভিন্নভাবে সম্পন্ন হয়। নিচে একটি ২-মাত্রিক শব্দোত্তর চিত্র দেখানো হয়েছে, যা ফোকাস অঞ্চল সরিয়ে নেওয়ার মাধ্যমে তৈরি হয়েছে।
<br>
[[Image:CRL Crown rump length 12 weeks ecografia Dr. Wolfgang Moroder.jpg|thumb|center|420px|চিত্র ১: ২-মাত্রিক গর্ভকালীন শব্দোত্তর তরঙ্গ চিত্র।]]
== ক্লিনিকাল ও চিকিৎসামূলক প্রয়োগ ==
উচ্চ তীব্রতাসম্পন্ন কেন্দ্রীভূত শব্দোত্তর তরঙ্গ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ক্লিনিকাল ও চিকিৎসামূলক প্রয়োগে ব্যবহৃত হয়। এই ধরনের প্রয়োগে সাধারণত উচ্চ তীব্রতার শব্দ তরঙ্গের অপচয়ের ফলে যে তাপ উৎপন্ন হয় সেটাই চিকিৎসার মূল কার্যকারিতা তৈরি করে। কিছু ক্ষেত্রে যেমন [[w:লিথোট্রিপসি|লিথোট্রিপসি]] তে চিকিৎসামূলক প্রভাব শব্দ তরঙ্গের অরৈখিকতার কারণে সৃষ্টি হয়। এতে [[তরঙ্গ বিকৃতি|তরঙ্গ বিকৃতি]] ও [[ঘাত তরঙ্গের গঠন|ঘাত তরঙ্গ]] তৈরি হয়। এই প্রভাব সম্পর্কে [[#পরবর্তী এক খণ্ডে|পরবর্তী এক খণ্ডে]] আরও বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
নিচে শব্দোত্তর তরঙ্গের কয়েকটি চিকিৎসামূলক প্রয়োগের আংশিক তালিকা দেওয়া হলো:
* [[w:ডেন্টাল হাইজেনিস্ট|ডেন্টাল হাইজেনিস্ট]] পেশায় দাঁত পরিষ্কারের জন্য শব্দোত্তর তরঙ্গ কখনো কখনো ব্যবহার করা হয়।
* কেন্দ্রীভূত শব্দোত্তর তরঙ্গ ব্যবহার করে নির্দিষ্ট স্থানে উচ্চ তাপ উৎপন্ন করে সিস্ট ও টিউমার (সৌম্য বা মারাত্মক) চিকিৎসা করা হয়। একে ফোকাসড আল্ট্রাসাউন্ড সার্জারি বা উচ্চ তীব্রতা কেন্দ্রিক শব্দোত্তর বলা হয়। এই প্রক্রিয়ায় সাধারণত চিকিৎসা-নির্ণয়ের শব্দোত্তর তরঙ্গের চেয়ে কম কম্পাঙ্ক (২৫০ কিলোহার্টজ থেকে ২০০০ কিলোহার্টজ পর্যন্ত) ব্যবহার করা হলেও, এর শক্তি অনেক বেশি হয়।
* লিথোট্রিপসি ব্যবহার করে কিডনির পাথর ভাঙার জন্য কেন্দ্রীভূত শব্দোত্তর তরঙ্গ ব্যবহার করা হয়।
* [[w:ফ্যাকোইমালসিফিকেশন|ফ্যাকোইমালসিফিকেশন]] পদ্ধতিতে ছানির চিকিৎসায় শব্দোত্তর তরঙ্গ ব্যবহার করা হয়।
* [[W:নিম্ন-তীব্রতার শব্দোত্তর তরঙ্গ|নিম্ন-তীব্রতার শব্দোত্তর তরঙ্গের]] আরও কিছু শারীরবৃত্তীয় প্রভাব সম্প্রতি আবিষ্কৃত হয়েছে, যেমন হাড়ের বৃদ্ধি উদ্দীপিত করা এবং ওষুধ পরিবহনের জন্য [[w:রক্ত-মস্তিষ্ক প্রতিবন্ধক|রক্ত-মস্তিষ্ক প্রতিবন্ধক]] অতিক্রমের সম্ভাবনা।
== শব্দোত্তর রশ্মির শব্দতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য ==
প্রাথমিকভাবে ধরে নেওয়া যায় শব্দোত্তর রশ্মি একটি অনন্ত বাফলে একটি সমতল বৃত্তাকার পিস্টন দোলনের ফলে উৎপন্ন হয়। বাস্তবে এ ধরনের ব্যবস্থায় শব্দ রশ্মির অনেক বেশি বিস্তার পার্শ্ব-লোবের তীব্রতা এবং নির্দিষ্ট ফোকাল দৈর্ঘ্য নির্ধারণের অক্ষমতা দেখা দেয়। বর্তমান চিকিৎসা ক্ষেত্রে বিমফর্মিং নামে পরিচিত একটি সাধারণ পদ্ধতির অংশ হিসেবে ফেজড অ্যারে ব্যবহার করা হয়। যদিও সমতল রূপান্তরকগুলোর কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে তবে এগুলোর সহজ বিশ্লেষণের মাধ্যমে গঠিত যে কোনো রশ্মির মৌলিক বৈশিষ্ট্য ও উন্নত প্রযুক্তির নকশার চ্যালেঞ্জ বোঝানো যায়।
সরল বৃত্তাকার রূপান্তরকের জন্য ব্যবহৃত বিশ্লেষণ পদ্ধতিটি পিয়ার্স,<ref name="Pierce"/> কিনসলার <ref name="Kinsler"/> এবং চিকি<ref name="Cheeke"/> এর মতো বহু শব্দতত্ত্ব গ্রন্থে দেখা যায়। এখানে প্রথমে মুক্ত বায়ুতে কম্পমান একটি ছোট গোলকীয় উৎসের হারমোনিক গতি থেকে নির্গত শব্দ বিবেচনা করে শব্দ ক্ষেত্র নির্ধারণ করা হয়। সেই উৎস থেকে প্রাপ্ত শব্দ চাপ ক্ষেত্র নিম্নরূপ:
<br>
:<math>
\boldsymbol{P} = i\left(\frac{\rho_o c U_o k a^2}{r} \right )e^{-ikr}
</math>
:<math>
I(r) = \frac{1}{2}\rho_o c_o U_o^2 \left(\frac{a}{r} \right )^2 \left(ka \right )^2
</math>
এখানে '''''P'''''(''r'') হলো রেডিয়াল দূরত্ব ''r'' এ হারমোনিক চাপের পরিমাণ ''ρ<sub>o</sub>'' হলো তরলের ঘনত্ব, ''c<sub>o</sub>'' তরলের শব্দের বেগ, ''U<sub>o</sub>'' হলো গোলক উৎসের সর্বাধিক বেগ, ''a'' হলো গোলকের ব্যাসার্ধ, এবং ''k'' = 2''πf''/''c<sub>o</sub>'' হলো তরঙ্গ সংখ্যা। উপরের সমীকরণগুলোতে ''i'' = -1<sup>1/2</sup> যা হারমোনিক চাপ ভেরিয়েবলে প্রশস্ততা ও ধাপ উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে।
এই ফলাফলটি রূপান্তরককে একটি বৃত্তাকার রেডিয়েটর হিসেবে প্রয়োগ করতে হলে প্রতিটি অতি ক্ষুদ্র অংশকে একটি আলাদা গোলীয় উৎস হিসেবে ধরা যায়। এর ফলে গঠিত শব্দ ক্ষেত্র হলো প্রতিটি গোলীয় উৎসের ইন্টিগ্রাল যোগফল। সাধারণভাবে এ ধরনের সমীকরণ বিশ্লেষণমূলকভাবে সমাধান করা যায় না। তবে যখন r >> a (যেখানে ''a'' হলো এখন রূপান্তরকের ব্যাসার্ধ) ধরা হয় তখন একটি সরল ফলাফল পাওয়া যায়। পুরো ডেরিভেশন এখানে না দিয়ে (বিশদ দেখতে কিনসলার <ref name="Kinsler"/> অথবা চিকি <ref name="Cheeke"/> দেখুন) শব্দ ক্ষেত্র এবং শব্দ তীব্রতার সমীকরণগুলো হলো:
<br>
:<math>
\boldsymbol{P}(r, \theta) = i \left( \tfrac{1}{2}\rho_o c_o U_o \frac{a}{r}ka \right ) H(\theta)e^{-ikr},
</math>
:<math>
H(\theta) = \frac{2J_1(ka\sin\theta)}{ka \sin \theta},
</math>
:<math>
I(r,\theta) = \frac{|\boldsymbol{P}(r)|^2}{2\rho_oc_o},
</math>
এখানে ''H''(''θ'') হলো নির্দেশিকা ফাংশন ''J<sub>1</sub>'' হলো [http://en.wikipedia.org/wiki/Bessel_function প্রথম প্রকারের বেসেল ফাংশন] এবং ''I''(''r'') হলো W/m<sup>2</sup> এককে শব্দ তীব্রতা। বাস্তবিক অর্থে নির্দেশিকা ফাংশনটি রশ্মির সেই সকল কোণে চাপের পরিমাণ দেখায় যা রূপান্তরকের অক্ষ বরাবর নয়। বেশেল ফাংশনের মূল যেসব কোণে চাপ শূন্য করে সেগুলো পার্শ্ব-লোব নামে পরিচিত। এই কোণগুলোর মধ্যবর্তী অঞ্চলে থাকে পার্শ্ব-লোব আর অক্ষ বরাবর যে অংশ থাকে তা মূল লোব নামে পরিচিত। বাস্তবে এই লোবগুলো সৃষ্টি হয় রূপান্তরকের বিভিন্ন অংশ থেকে নির্গত তরঙ্গগুলোর ধাপীয় মিথস্ক্রিয়ার ফলে। এটি কিছুটা সরল কম্পাঙ্ক তরঙ্গের চাপ গাঁটে চাপশূন্য অবস্থার সঙ্গে তুলনীয়।
উদাহরণস্বরূপ ১ মেগাহার্টজ শব্দোত্তর রশ্মি জলীয় মাধ্যমে ১ সেন্টিমিটার ব্যাসার্ধের রূপান্তরক দিয়ে প্রেরণ করা হলে নির্দেশিকা ফাংশন এবং শব্দ তীব্রতা কীভাবে পার্শ্ব-লোব তৈরি করে তা দেখা যায়। নিচের চিত্র ২ এ নির্দেশিকা ফাংশন দেখানো হয়েছে এবং চিত্র ৩ এ রূপান্তরকের পৃষ্ঠে তীব্রতার তুলনায় শব্দ তীব্রতা চিত্রায়িত হয়েছে।
<br>
[[Image:Beam_Function_1MHz.png|thumb|center|520px| চিত্র ২: জলীয় মাধ্যমে ১ মেগাহার্টজ শব্দোত্তর তরঙ্গ নির্গতকারী ১ সেন্টিমিটার ব্যাসার্ধের রূপান্তরকের জন্য রশ্মি ফাংশন।]]
[[Image:1MHz_Ultrasound_Intensity.png|thumb|center|520px| চিত্র ৩: জলীয় মাধ্যমে ১ মেগাহার্টজ শব্দোত্তর তরঙ্গ নির্গতকারী ১ সেন্টিমিটার ব্যাসার্ধের রূপান্তরকের শব্দ তীব্রতার স্বাভাবিকৃত ক্ষেত্র।]]
চিকিৎসা-সংক্রান্ত আল্ট্রাসাউন্ড ব্যবহারের ক্ষেত্রে সাইড লোব একটি অপ্রত্যাশিত প্রভাব হিসেবে বিবেচিত হয়। ডায়াগনস্টিক ইমেজিংয়ে সাইড লোব থেকে প্রতিফলিত তরঙ্গগুলো প্রধান বিম থেকে প্রতিফলনের মতো ভুলভাবে ব্যাখ্যা করা হতে পারে। এর ফলে ইমেজের গুণমান কমে যায়। চিকিৎসা-সংক্রান্ত কাজে সাইড লোব এমন এলাকায় শক্তি ছড়িয়ে দেয় যেখানে প্রভাব ফেলার উদ্দেশ্য থাকে না। এই সমস্যাগুলো কমানোর জন্য আল্ট্রাসাউন্ড যন্ত্রে [http://en.wikipedia.org/wiki/Beamforming বিমফর্মিং] তত্ত্বের ভিত্তিতে রূপান্তরক ডিজাইন করা হয়। যা সাধারণ নলাকার রূপান্তরকের তুলনায় বিশ্লেষণকে অনেক জটিল করে তোলে। সাইড লোব কমানোর একটি কৌশল হলো একটি নির্দিষ্ট গভীরতায় প্রধান বিমকে কেন্দ্রীভূত করতে ফেজড অ্যারে ব্যবহার করা। এর ফলে সাইড লোবার আপেক্ষিক তীব্রতা হ্রাস পায়। আরেকটি কৌশল একোস্টিক শ্যাডোয়িং, রূপান্তরকের কিনারায় অপেক্ষাকৃত কম তীব্রতার তরঙ্গ প্রেরণ করে সাইড লোব কমায়। যেমনটি পরবর্তী অংশে আলোচনা করা হবে সাইড লোব কমানো এবং ফোকাস বৃদ্ধি করার জন্য নতুন একটি কৌশল হলো আল্ট্রাসাউন্ড বিমে ইচ্ছাকৃতভাবে নন-লিনিয়ার শব্দ প্রভাবের বিবেচনা।<ref name="Cobbold"/><ref name="Duck"/>
== জীব চিকিৎসাবিষয়ে শব্দোত্তর তরঙ্গে অরৈখিক শব্দবিজ্ঞান ==
অনেক ক্ষেত্রে শব্দতত্ত্ব প্রয়োগে তরঙ্গের রৈখিক সম্প্রসারণের ধারণা যথেষ্ট হয়ে থাকে। কিন্তু জীবচিকিৎসাবিষয়ক আল্ট্রাসাউন্ডে শব্দ তরঙ্গের সম্প্রসারণের সময় প্রায়শই একটি ক্রমাগত বিকৃতির সৃষ্টি হয় যা অরৈখিক এবং সীমিত মাত্রার প্রভাবে ঘটে। ডায়াগনস্টিক আল্ট্রাসাউন্ডে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অরৈখিক প্রভাব হলো তরঙ্গে হারমোনিক তৈরি হওয়া। এই অংশের প্রারম্ভিক প্রস্তুতি হিসেবে [[অরৈখিকতার শব্দ প্যারামিটার|অরৈখিক শব্দ প্যারামিটার]] এবং [[হারমোনিক শব্দ উৎপত্তি|হারমোনিক শব্দ উৎপত্তি]] সম্পর্কে পুনরালোচনা করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
জীব চিকিৎসাবিষয়ক শব্দোত্তর তরঙ্গে প্রাসঙ্গিক অরৈখিকতা তুলনামূলকভাবে দুর্বল। ফলে এদের প্রভাব ধীরে ধীরে দূরত্বের সঙ্গে সঙ্গে জমা হতে থাকে। উল্লেখযোগ্য হারমোনিক তৈরি হওয়ার জন্য চারটি শর্ত পূরণ হওয়া প্রয়োজন:
*প্রচুর পরিমাণে চাপ এবং বেগের তীব্রতা থাকা। জীবচিকিৎসাবিষয়ক প্রায় সব প্রয়োগেই এই শর্ত পূরণ হয়।<ref name="Duck_2010"/>
*পর্যাপ্ত দূরত্ব পর্যন্ত সম্প্রসারণ যেখানে তরঙ্গ প্রায় সমতল থাকে। আল্ট্রাসোনোগ্রাফিতে ব্যবহৃত নির্দেশিত বিমের ক্ষেত্রে, এই শর্ত সাধারণত রেইলি দূরত্ব ''x'' = 1/2 ''ka<sup>2</sup>'' এর মধ্যে মূল লোবের জন্য প্রযোজ্য।<ref name="Hamilton"/> হারমোনিক শব্দ উৎপত্তি প্রকৃতপক্ষে তরঙ্গদৈর্ঘ্যের সংখ্যার সমানুপাতিক, পরম দূরত্বের নয়। উদাহরণস্বরূপ ১০ MHz ফ্রিকোয়েন্সির তরঙ্গ ১০ সেন্টিমিটার গভীরতা পর্যন্ত পৌঁছাতে ৫০০ তরঙ্গদৈর্ঘ্য অতিক্রম করে।
*[[অরৈখিক প্যারামিটার|অরৈখিক প্যারামিটারে]] B/A এর পর্যাপ্ত মান থাকা। একই শব্দ তীব্রতার জন্য যে পদার্থের B/A মান বেশি তা দ্রুত হারমোনিক তৈরি করে। জলে B/A মান বায়ুর চেয়ে দশগুণ বেশি এবং কিছু জীবতন্তু টিস্যুতে এই মান জলের দ্বিগুণ পর্যন্ত হতে পারে।
*কম শব্দ শোষণ, অনেক জীবতন্তু টিস্যুতে যেখানে B/A এর মান বেশি সেখানে শব্দ শোষণও বেশি হয়ে থাকে। কারণ উচ্চ ফ্রিকোয়েন্সিতে তরঙ্গ দ্রুত শোষিত হয়। ফলে তৈরি হওয়া হারমোনিক মূল ফ্রিকোয়েন্সির তুলনায় সহজেই শোষিত হয়। এই প্রভাবের ফলে জীবতন্তু টিস্যুতে B/A এর প্রভাব কমে যায়।
এই শর্তগুলো পর্যালোচনা করলে বোঝা যায় অনেক ক্ষেত্রে জীব চিকিৎসাবিষয়ক আল্ট্রাসাউন্ডে উল্লেখযোগ্য হারমোনিক তৈরি হয়। এই হারমোনিক তৈরি ব্যবহার করে দুটি গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োগ গড়ে উঠছে:
*শব্দোত্তর তরঙ্গে রেকর্ড করা সংকেতে হারমোনিক উপাদান ব্যবহার। কারণ শব্দ তীব্রতা এবং সম্প্রসারণের দূরত্ব মূল লোবেই সবচেয়ে বেশি তাই হারমোনিক মূলত মূল লোবেই বেশি তৈরি হয় এবং সাইড লোবগুলোতে কম হয়। ফলে দ্বিতীয় হারমোনিক দ্বারা তৈরি বিমের দিকনির্দেশনা ক্ষমতা মূল ফ্রিকোয়েন্সির বিমের চেয়ে বেশি হয়। এতে ইমেজের মান উন্নত করা সম্ভব হয়।<ref name="Duck"/>
*টিস্যুর বৈশিষ্ট্য নির্ধারণে B/A প্যারামিটার ব্যবহার করে হারমোনিক প্রোফাইল বিশ্লেষণ। [[অরৈখিকতার প্যারামিটার|অরৈখিক প্যারামিটার]] অনুযায়ী একই শব্দ প্রতিবন্ধকতা থাকা সত্ত্বেও বিভিন্ন টিস্যুর B/A মান ভিন্ন হয়। এর ফলে আল্ট্রাসাউন্ড তরঙ্গের হারমোনিক উপাদান টিস্যুর B/A মানের ভিত্তিতে চিত্র তৈরি করতে পারে। এই ধারণার ব্যবহারিক প্রয়োগ এখনো উন্নয়ন পর্যায়ে আছে, কারণ বর্তমান ইমেজিং প্রযুক্তি এখনো এই সম্ভাবনাকে সম্পূর্ণভাবে কাজে লাগাতে পারেনি।<ref name="Duck_2010"/>
== বহিঃসংযোগ ==
* [http://www.piezotechnologies.com/Resources/White-Papers.aspx মেডিকেল আল্ট্রাসনিক রূপান্তরক]
== তথ্যসূত্র ==
{{reflist|refs=
<ref name = "Pierce" >Pierce, A. D. 1989. Radiation from Sources Near and on Solid Surfaces. In Acoustics : An Introduction to its Physical Principles and Applications. Woodbury, N.Y., Acoustical Society of America.</ref>
<ref name = "Pierce_sd" >Pierce, A. D. 1989. Scattering and Diffraction. In Acoustics : An Introduction to its Physical Principles and Applications. Woodbury, N.Y., Acoustical Society of America.</ref>
<ref name="Kinsler">Kinsler, L. E., Frey, A. R., Coppens, A. B., Sanders, J. V. 2000.Radiation and Reception of Acoustic Waves. In Fundamentals of Acoustics. New York, Wiley.</ref>
<ref name="Kinsler_rt">Kinsler, L. E., Frey, A. R., Coppens, A. B., Sanders, J. V. 2000. Reflection and Transmission. In Fundamentals of Acoustics. New York, Wiley.</ref>
<ref name="Cheeke">Cheeke, J. D. N. 2002. Finite Beams, Radiation, Diffraction, and Scattering. In Fundamentals and Applications of Ultrasonic Waves. Boca Raton, CRC Press.</ref>
<ref name="Cobbold">Cobbold, R. S. C. 2007. Foundations of Biomedical Ultrasound. Nonlinear Ultrasonics. Oxford University Press.</ref>
<ref name="Cobbold_ia">Cobbold, R. S. C. 2007. Ultrasound Imaging Arrays. In Foundations of Biomedical Ultrasound. Nonlinear Ultrasonics. Oxford University Press.</ref>
<ref name="Cobbold_su">Cobbold, R. S. C. 2007. Scattering of Ultrasound. In Foundations of Biomedical Ultrasound. Nonlinear Ultrasonics. Oxford University Press.</ref>
<ref name ="Duck">Duck, F. A. 2002. "Nonlinear Acoustics in Diagnostic Ultrasound." Ultrasound in Medicine & Biology 28(1).</ref>
<ref name ="Wiki_sono">Wikipedia, 2010. "Medical Ultrasonography”</ref>
<ref name="Kremkau">Kremkau, F. W. 2002. Diagnostic Ultrasound : Principles and Instruments. Philadelphia, W.B. Saunders</ref>
<ref name="Hamilton">Hamilton, M. F., Blackstock, D. T. 2008. Sound Beams. In Nonlinear Acoustics. Melville, NY, Acoustical Society of America.</ref>
<ref name="Duck_2010">Duck, F. 2010. Tissue non-linearity. Proceedings of the Institution of Mechanical Engineers, Part H: Journal of Engineering in Medicine 224(2).</ref>
}}
rta13lehgtlap8s766cxo0oajydc3g6
84668
84666
2025-06-17T19:12:09Z
Asikur.rahman25
11164
84668
wikitext
text/x-wiki
{{Engineering Acoustics}}
== জৈব-চিকিৎসা শব্দোত্তর তরঙ্গ ==
প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান উইকিবইয়ের এই অধ্যায়ে জৈব-চিকিৎসা শব্দোত্তর তরঙ্গের প্রয়োগগুলোর সংক্ষিপ্ত পরিচিতি এবং শব্দোত্তর রশ্মির জন্য কিছু প্রাথমিক শব্দতাত্ত্বিক বিশ্লেষণ উপস্থাপন করা হয়েছে। পুরো জৈব-চিকিৎসা শব্দোত্তর তরঙ্গ ক্ষেত্রটি নানা মৌলিক শাস্ত্রের সমন্বয়ে গঠিত এবং এতে বহু বিষয়ে গবেষণার সুযোগ রয়েছে। তাই এই সংক্ষিপ্ত লেখাটি শব্দোত্তর তরঙ্গের সব দিক আলোচনা করে না। বরং এটি পাঠকদের একটি প্রাথমিক ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করে, যাতে আগ্রহীরা এই বিষয়ে আরও বিস্তারিতভাবে অধ্যয়ন করতে পারেন। যাঁরা আরও গভীরভাবে জানতে চান তাঁদের জন্য কোবোল্ড এর ২০০৭ সালের গ্রন্থটি <ref name="Cobbold"/> সুপারিশ করা হয়েছে।
== রোগনির্ণয়ে প্রয়োগ ==
জৈব-চিকিৎসা শব্দোত্তর তরঙ্গের সবচেয়ে পরিচিত প্রয়োগ হলো চিকিৎসা চিত্রায়ন যাকে শব্দোত্তর চিত্রায়ন বা আল্ট্রাসনোগ্রাফি বলা হয়। শব্দোত্তর চিত্রায়নের নির্দিষ্ট প্রয়োগগুলোর তালিকার জন্য সংশ্লিষ্ট [[w:Medical ultrasonography|উইকিপিডিয়া নিবন্ধ]]টি দেখুন। নিচের অংশে শব্দোত্তর চিত্র তৈরির জন্য যে শব্দতাত্ত্বিক প্রক্রিয়া ব্যবহৃত হয় তা গুণগতভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
একটি শব্দোত্তর তরঙ্গ রূপান্তরক স্বল্পস্থায়ী উচ্চ কম্পাঙ্কের শব্দ তরঙ্গ নির্গত করে। প্রয়োগ অনুযায়ী এই তরঙ্গের কম্পাঙ্ক ১ মেগাহার্টজ থেকে ১৫ মেগাহার্টজ পর্যন্ত হতে পারে।<ref name="Kremkau"/> নির্গত শব্দ তরঙ্গ যখন শরীরের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে, তখন শব্দ প্রতিবন্ধকতার (''ρc'') পার্থক্যের ক্ষেত্রে আংশিক প্রতিফলন বা বিকিরণ ঘটে। চিকিৎসা চিত্রায়নের প্রসঙ্গে, এটি ঘটে শরীরের যেখানে ঘনত্বের তারতম্য রয়েছে যেমন হাড় ও পেশির সংযোগস্থলে, রক্তরসের মধ্যে রক্তকণিকা, অঙ্গের ছোট গঠন ইত্যাদিতে।<ref name="Wiki_sono"/>
প্রতিফলিত তরঙ্গের আচরণ নির্ভর করে প্রতিফলক গঠনের আকার এবং প্রেরিত শব্দ তরঙ্গের তরঙ্গদৈর্ঘ্যের উপর। যদি তরঙ্গদৈর্ঘ্য ছোট হয়, তাহলে প্রতিফলন ঘটে শব্দ পরিবাহিতা ও প্রতিফলনের নিয়ম অনুযায়ী তা স্বাভাবিক হোক বা তির্যক।<ref name="Kinsler_rt"/> আর যদি তরঙ্গদৈর্ঘ্য প্রতিফলক গঠনের তুলনায় বড় হয়, তখন শব্দ বিকিরণের নিয়ম প্রযোজ্য হয়।<ref name="Pierce_sd"/> এই দ্বিতীয় অবস্থা, যা ছোট প্রতিফলন উৎসের ক্ষেত্রে ঘটে, সেটিই নির্ধারণ করে শব্দোত্তর চিত্রায়নে কোন কম্পাঙ্ক ব্যবহার করা হবে। কোবোল্ড এর বিশ্লেষণ অনুযায়ী,<ref name="Cobbold_su"/> একটি সমতল তরঙ্গ যখন একটি গোলীয় প্রতিফলক উৎসে পড়ে যার কার্যকর ব্যাসার্ধ ''a'', তখন বিকিরিত তরঙ্গের শব্দ তীব্রতা, ''I<sub>s</sub>'', পরিবর্তিত হয় এই সূত্র অনুযায়ী:
<br>
:<math>
I_s \propto \frac{a^6}{\lambda ^4}
</math>
এই সূত্রটি দেখায়, যখন তরঙ্গদৈর্ঘ্য প্রতিফলক উৎসের তুলনায় বড় হয়, তখন প্রতিফলিত শক্তি খুব কম হয়ে যায়। ফলে রূপান্তরকে উল্লেখযোগ্য প্রতিফলিত তরঙ্গ ফেরত আসে না। শব্দোত্তর চিত্রে একটি গঠন স্পষ্টভাবে ধরতে হলে, নির্গত তরঙ্গের তরঙ্গদৈর্ঘ্য সেই গঠনের চেয়ে ছোট হতে হবে। তরঙ্গদৈর্ঘ্য নির্বাচন করতে গিয়ে আরও কিছু বিষয় বিবেচনা করতে হয়: যেহেতু শব্দ তরঙ্গ পরিবাহনের পথে ক্ষয়প্রাপ্ত হয়, তাই কম কম্পাঙ্ক বেশি গভীরে ছবি তুলতে সাহায্য করে। অন্যদিকে, বেশি কম্পাঙ্ক (ছোট তরঙ্গদৈর্ঘ্য) নির্গত রশ্মিকে সরু ফোকাসে কেন্দ্রীভূত করতে সহায়তা করে।<ref name="Kremkau"/> নিচের টেবিলে বিভিন্ন কম্পাঙ্কে পানিতে তরঙ্গদৈর্ঘ্যের সঙ্গে সম্পর্ক দেখানো হয়েছে (''λ'' = ''c''/''f'')।
<br>
{| class="wikitable" style="text-align: center;" align="center"
|+ টেবিল ১: চিকিৎসা ক্ষেত্রে ব্যবহৃত শব্দোত্তর তরঙ্গের কম্পাঙ্ক ও সংশ্লিষ্ট তরঙ্গদৈর্ঘ্য।
|-
| কম্পাঙ্ক (মেগাহার্টজ) || ১ || ২ || ৫ || ৮ || ১০ || ১২ || ১৫
|-
| তরঙ্গদৈর্ঘ্য (মিলিমিটার) || ১.৫০ || ০.৭৫ || ০.৩০ || ০.১৯ || ০.১৫ || ০.১৩ || ০.১০
|}
তরঙ্গ নির্গত হওয়ার পর শব্দোত্তর রূপান্তরক একটি গ্রাহকের মতো কাজ করতে পারে—যেমন একটি মাইক্রোফোন বা হাইড্রোফোন। প্রতিফলিত তরঙ্গ বা ঘনত্ব পরিবর্তনের কারণে ফিরে আসা তরঙ্গ রূপান্তরকে এসে রেকর্ড হয়। প্রেরিত ও প্রাপ্ত সংকেতের মধ্যকার সময় ব্যবধান থেকে প্রতিফলন উৎসের দূরত্ব নির্ণয় করা যায়। আর প্রাপ্ত সংকেতের তীব্রতা থেকে প্রতিফলনের শাব্দিক প্রতিবন্ধকতা এবং আকার সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়।<ref name="Wiki_sono"/> যেখানে ডপলার শব্দোত্তর চিত্রায়ন ব্যবহার করা হয়, সেখানে প্রেরিত ও প্রাপ্ত সংকেতের কম্পাঙ্ক পরিবর্তন থেকে প্রতিফলক উৎসের গতি নির্ধারণ করা যায়।
আধুনিক শব্দোত্তর চিত্রায়নে ছোট ছোট অনেক রূপান্তরকের সমষ্টি ব্যবহার করা হয়, যেগুলোর প্রতিটি আলাদাভাবে ইলেকট্রনিকভাবে নিয়ন্ত্রিত হয় [[w:বিমফর্মিং|বিমফর্মিং]] নামের একটি কৌশল ব্যবহার করে। এই পদ্ধতিতে, প্রতিটি রূপান্তরকের তরঙ্গের ধাপের সম্পর্ক নিয়ন্ত্রণ করে নির্গত রশ্মির দিক ও ফোকাস গভীরতা নিয়ন্ত্রণ করা যায়।<ref name="Cobbold_ia"/> একটি দ্বিমাত্রিক শব্দোত্তর চিত্র তৈরি করতে হলে, রশ্মির ফোকাল অবস্থান একটি অঞ্চলের মধ্যে ধীরে ধীরে সরানো হয় এবং প্রতিফলিত তরঙ্গগুলো রেকর্ড করে সেই নির্দিষ্ট অবস্থানের সঙ্গে সংযুক্ত করা হয়। এই সাধারণ প্রক্রিয়াটি বিভিন্ন যন্ত্রে ভিন্নভাবে সম্পন্ন হয়। নিচে একটি ২-মাত্রিক শব্দোত্তর চিত্র দেখানো হয়েছে, যা ফোকাস অঞ্চল সরিয়ে নেওয়ার মাধ্যমে তৈরি হয়েছে।
<br>
[[Image:CRL Crown rump length 12 weeks ecografia Dr. Wolfgang Moroder.jpg|thumb|center|420px|চিত্র ১: দ্বি-মাত্রিক গর্ভকালীন শব্দোত্তর তরঙ্গ চিত্র।]]
== ক্লিনিকাল ও চিকিৎসামূলক প্রয়োগ ==
উচ্চ তীব্রতাসম্পন্ন কেন্দ্রীভূত শব্দোত্তর তরঙ্গ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ক্লিনিকাল ও চিকিৎসামূলক প্রয়োগে ব্যবহৃত হয়। এই ধরনের প্রয়োগে সাধারণত উচ্চ তীব্রতার শব্দ তরঙ্গের অপচয়ের ফলে যে তাপ উৎপন্ন হয় সেটাই চিকিৎসার মূল কার্যকারিতা তৈরি করে। কিছু ক্ষেত্রে যেমন [[w:লিথোট্রিপসি|লিথোট্রিপসি]] তে চিকিৎসামূলক প্রভাব শব্দ তরঙ্গের অরৈখিকতার কারণে সৃষ্টি হয়। এতে [[তরঙ্গ বিকৃতি|তরঙ্গ বিকৃতি]] ও [[ঘাত তরঙ্গের গঠন|ঘাত তরঙ্গ]] তৈরি হয়। এই প্রভাব সম্পর্কে [[#পরবর্তী এক খণ্ডে|পরবর্তী এক খণ্ডে]] আরও বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
নিচে শব্দোত্তর তরঙ্গের কয়েকটি চিকিৎসামূলক প্রয়োগের আংশিক তালিকা দেওয়া হলো:
* [[w:ডেন্টাল হাইজেনিস্ট|ডেন্টাল হাইজেনিস্ট]] পেশায় দাঁত পরিষ্কারের জন্য শব্দোত্তর তরঙ্গ কখনো কখনো ব্যবহার করা হয়।
* কেন্দ্রীভূত শব্দোত্তর তরঙ্গ ব্যবহার করে নির্দিষ্ট স্থানে উচ্চ তাপ উৎপন্ন করে সিস্ট ও টিউমার (সৌম্য বা মারাত্মক) চিকিৎসা করা হয়। একে ফোকাসড আল্ট্রাসাউন্ড সার্জারি বা উচ্চ তীব্রতা কেন্দ্রিক শব্দোত্তর বলা হয়। এই প্রক্রিয়ায় সাধারণত চিকিৎসা-নির্ণয়ের শব্দোত্তর তরঙ্গের চেয়ে কম কম্পাঙ্ক (২৫০ কিলোহার্টজ থেকে ২০০০ কিলোহার্টজ পর্যন্ত) ব্যবহার করা হলেও, এর শক্তি অনেক বেশি হয়।
* লিথোট্রিপসি ব্যবহার করে কিডনির পাথর ভাঙার জন্য কেন্দ্রীভূত শব্দোত্তর তরঙ্গ ব্যবহার করা হয়।
* [[w:ফ্যাকোইমালসিফিকেশন|ফ্যাকোইমালসিফিকেশন]] পদ্ধতিতে ছানির চিকিৎসায় শব্দোত্তর তরঙ্গ ব্যবহার করা হয়।
* [[W:নিম্ন-তীব্রতার শব্দোত্তর তরঙ্গ|নিম্ন-তীব্রতার শব্দোত্তর তরঙ্গের]] আরও কিছু শারীরবৃত্তীয় প্রভাব সম্প্রতি আবিষ্কৃত হয়েছে, যেমন হাড়ের বৃদ্ধি উদ্দীপিত করা এবং ওষুধ পরিবহনের জন্য [[w:রক্ত-মস্তিষ্ক প্রতিবন্ধক|রক্ত-মস্তিষ্ক প্রতিবন্ধক]] অতিক্রমের সম্ভাবনা।
== শব্দোত্তর রশ্মির শব্দতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য ==
প্রাথমিকভাবে ধরে নেওয়া যায় শব্দোত্তর রশ্মি একটি অনন্ত বাফলে একটি সমতল বৃত্তাকার পিস্টন দোলনের ফলে উৎপন্ন হয়। বাস্তবে এ ধরনের ব্যবস্থায় শব্দ রশ্মির অনেক বেশি বিস্তার পার্শ্ব-লোবের তীব্রতা এবং নির্দিষ্ট কেন্দ্রে দৈর্ঘ্য নির্ধারণের অক্ষমতা দেখা দেয়। বর্তমান চিকিৎসা ক্ষেত্রে বিমফর্মিং নামে পরিচিত একটি সাধারণ পদ্ধতির অংশ হিসেবে ফেজড অ্যারে ব্যবহার করা হয়। যদিও সমতল রূপান্তরকগুলোর কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে তবে এগুলোর সহজ বিশ্লেষণের মাধ্যমে গঠিত যে কোনো রশ্মির মৌলিক বৈশিষ্ট্য ও উন্নত প্রযুক্তির নকশার চ্যালেঞ্জ বোঝানো যায়।
সরল বৃত্তাকার রূপান্তরকের জন্য ব্যবহৃত বিশ্লেষণ পদ্ধতিটি পিয়ার্স,<ref name="Pierce"/> কিনসলার <ref name="Kinsler"/> এবং চিকি<ref name="Cheeke"/> এর মতো বহু শব্দতত্ত্ব গ্রন্থে দেখা যায়। এখানে প্রথমে মুক্ত বায়ুতে কম্পমান একটি ছোট গোলকীয় উৎসের হারমোনিক গতি থেকে নির্গত শব্দ বিবেচনা করে শব্দ ক্ষেত্র নির্ধারণ করা হয়। সেই উৎস থেকে প্রাপ্ত শব্দ চাপ ক্ষেত্র নিম্নরূপ:
<br>
:<math>
\boldsymbol{P} = i\left(\frac{\rho_o c U_o k a^2}{r} \right )e^{-ikr}
</math>
:<math>
I(r) = \frac{1}{2}\rho_o c_o U_o^2 \left(\frac{a}{r} \right )^2 \left(ka \right )^2
</math>
এখানে '''''P'''''(''r'') হলো রেডিয়াল দূরত্ব ''r'' এ হারমোনিক চাপের পরিমাণ ''ρ<sub>o</sub>'' হলো তরলের ঘনত্ব, ''c<sub>o</sub>'' তরলের শব্দের বেগ, ''U<sub>o</sub>'' হলো গোলক উৎসের সর্বাধিক বেগ, ''a'' হলো গোলকের ব্যাসার্ধ, এবং ''k'' = 2''πf''/''c<sub>o</sub>'' হলো তরঙ্গ সংখ্যা। উপরের সমীকরণগুলোতে ''i'' = -1<sup>1/2</sup> যা হারমোনিক চাপ ভেরিয়েবলে প্রশস্ততা ও ধাপ উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে।
এই ফলাফলটি রূপান্তরককে একটি বৃত্তাকার রেডিয়েটর হিসেবে প্রয়োগ করতে হলে প্রতিটি অতি ক্ষুদ্র অংশকে একটি আলাদা গোলীয় উৎস হিসেবে ধরা যায়। এর ফলে গঠিত শব্দ ক্ষেত্র হলো প্রতিটি গোলীয় উৎসের ইন্টিগ্রাল যোগফল। সাধারণভাবে এ ধরনের সমীকরণ বিশ্লেষণমূলকভাবে সমাধান করা যায় না। তবে যখন r >> a (যেখানে ''a'' হলো এখন রূপান্তরকের ব্যাসার্ধ) ধরা হয় তখন একটি সরল ফলাফল পাওয়া যায়। পুরো ডেরিভেশন এখানে না দিয়ে (বিশদ দেখতে কিনসলার <ref name="Kinsler"/> অথবা চিকি <ref name="Cheeke"/> দেখুন) শব্দ ক্ষেত্র এবং শব্দ তীব্রতার সমীকরণগুলো হলো:
<br>
:<math>
\boldsymbol{P}(r, \theta) = i \left( \tfrac{1}{2}\rho_o c_o U_o \frac{a}{r}ka \right ) H(\theta)e^{-ikr},
</math>
:<math>
H(\theta) = \frac{2J_1(ka\sin\theta)}{ka \sin \theta},
</math>
:<math>
I(r,\theta) = \frac{|\boldsymbol{P}(r)|^2}{2\rho_oc_o},
</math>
এখানে ''H''(''θ'') হলো নির্দেশিকা ফাংশন ''J<sub>1</sub>'' হলো [http://en.wikipedia.org/wiki/Bessel_function প্রথম প্রকারের বেসেল ফাংশন] এবং ''I''(''r'') হলো W/m<sup>2</sup> এককে শব্দ তীব্রতা। বাস্তবিক অর্থে নির্দেশিকা ফাংশনটি রশ্মির সেই সকল কোণে চাপের পরিমাণ দেখায় যা রূপান্তরকের অক্ষ বরাবর নয়। বেশেল ফাংশনের মূল যেসব কোণে চাপ শূন্য করে সেগুলো পার্শ্ব-লোব নামে পরিচিত। এই কোণগুলোর মধ্যবর্তী অঞ্চলে থাকে পার্শ্ব-লোব আর অক্ষ বরাবর যে অংশ থাকে তা মূল লোব নামে পরিচিত। বাস্তবে এই লোবগুলো সৃষ্টি হয় রূপান্তরকের বিভিন্ন অংশ থেকে নির্গত তরঙ্গগুলোর ধাপীয় মিথস্ক্রিয়ার ফলে। এটি কিছুটা সরল কম্পাঙ্ক তরঙ্গের চাপ গাঁটে চাপশূন্য অবস্থার সঙ্গে তুলনীয়।
উদাহরণস্বরূপ ১ মেগাহার্টজ শব্দোত্তর রশ্মি জলীয় মাধ্যমে ১ সেন্টিমিটার ব্যাসার্ধের রূপান্তরক দিয়ে প্রেরণ করা হলে নির্দেশিকা ফাংশন এবং শব্দ তীব্রতা কীভাবে পার্শ্ব-লোব তৈরি করে তা দেখা যায়। নিচের চিত্র ২ এ নির্দেশিকা ফাংশন দেখানো হয়েছে এবং চিত্র ৩ এ রূপান্তরকের পৃষ্ঠে তীব্রতার তুলনায় শব্দ তীব্রতা চিত্রায়িত হয়েছে।
<br>
[[Image:Beam_Function_1MHz.png|thumb|center|520px| চিত্র ২: জলীয় মাধ্যমে ১ মেগাহার্টজ শব্দোত্তর তরঙ্গ নির্গতকারী ১ সেন্টিমিটার ব্যাসার্ধের রূপান্তরকের জন্য রশ্মি ফাংশন।]]
[[Image:1MHz_Ultrasound_Intensity.png|thumb|center|520px| চিত্র ৩: জলীয় মাধ্যমে ১ মেগাহার্টজ শব্দোত্তর তরঙ্গ নির্গতকারী ১ সেন্টিমিটার ব্যাসার্ধের রূপান্তরকের শব্দ তীব্রতার স্বাভাবিকৃত ক্ষেত্র।]]
চিকিৎসা-সংক্রান্ত আল্ট্রাসাউন্ড ব্যবহারের ক্ষেত্রে সাইড লোব একটি অপ্রত্যাশিত প্রভাব হিসেবে বিবেচিত হয়। ডায়াগনস্টিক ইমেজিংয়ে সাইড লোব থেকে প্রতিফলিত তরঙ্গগুলো প্রধান বিম থেকে প্রতিফলনের মতো ভুলভাবে ব্যাখ্যা করা হতে পারে। এর ফলে ইমেজের গুণমান কমে যায়। চিকিৎসা-সংক্রান্ত কাজে সাইড লোব এমন এলাকায় শক্তি ছড়িয়ে দেয় যেখানে প্রভাব ফেলার উদ্দেশ্য থাকে না। এই সমস্যাগুলো কমানোর জন্য আল্ট্রাসাউন্ড যন্ত্রে [http://en.wikipedia.org/wiki/Beamforming বিমফর্মিং] তত্ত্বের ভিত্তিতে রূপান্তরক ডিজাইন করা হয়। যা সাধারণ নলাকার রূপান্তরকের তুলনায় বিশ্লেষণকে অনেক জটিল করে তোলে। সাইড লোব কমানোর একটি কৌশল হলো একটি নির্দিষ্ট গভীরতায় প্রধান বিমকে কেন্দ্রীভূত করতে ফেজড অ্যারে ব্যবহার করা। এর ফলে সাইড লোবার আপেক্ষিক তীব্রতা হ্রাস পায়। আরেকটি কৌশল একোস্টিক শ্যাডোয়িং, রূপান্তরকের কিনারায় অপেক্ষাকৃত কম তীব্রতার তরঙ্গ প্রেরণ করে সাইড লোব কমায়। যেমনটি পরবর্তী অংশে আলোচনা করা হবে সাইড লোব কমানো এবং ফোকাস বৃদ্ধি করার জন্য নতুন একটি কৌশল হলো আল্ট্রাসাউন্ড বিমে ইচ্ছাকৃতভাবে নন-লিনিয়ার শব্দ প্রভাবের বিবেচনা।<ref name="Cobbold"/><ref name="Duck"/>
== জীব চিকিৎসাবিষয়ে শব্দোত্তর তরঙ্গে অরৈখিক শব্দবিজ্ঞান ==
অনেক ক্ষেত্রে শব্দতত্ত্ব প্রয়োগে তরঙ্গের রৈখিক সম্প্রসারণের ধারণা যথেষ্ট হয়ে থাকে। কিন্তু জীবচিকিৎসাবিষয়ক আল্ট্রাসাউন্ডে শব্দ তরঙ্গের সম্প্রসারণের সময় প্রায়শই একটি ক্রমাগত বিকৃতির সৃষ্টি হয় যা অরৈখিক এবং সীমিত মাত্রার প্রভাবে ঘটে। ডায়াগনস্টিক আল্ট্রাসাউন্ডে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অরৈখিক প্রভাব হলো তরঙ্গে হারমোনিক তৈরি হওয়া। এই অংশের প্রারম্ভিক প্রস্তুতি হিসেবে [[অরৈখিকতার শব্দ প্যারামিটার|অরৈখিক শব্দ প্যারামিটার]] এবং [[হারমোনিক শব্দ উৎপত্তি|হারমোনিক শব্দ উৎপত্তি]] সম্পর্কে পুনরালোচনা করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
জীব চিকিৎসাবিষয়ক শব্দোত্তর তরঙ্গে প্রাসঙ্গিক অরৈখিকতা তুলনামূলকভাবে দুর্বল। ফলে এদের প্রভাব ধীরে ধীরে দূরত্বের সঙ্গে সঙ্গে জমা হতে থাকে। উল্লেখযোগ্য হারমোনিক তৈরি হওয়ার জন্য চারটি শর্ত পূরণ হওয়া প্রয়োজন:
*প্রচুর পরিমাণে চাপ এবং বেগের তীব্রতা থাকা। জীবচিকিৎসাবিষয়ক প্রায় সব প্রয়োগেই এই শর্ত পূরণ হয়।<ref name="Duck_2010"/>
*পর্যাপ্ত দূরত্ব পর্যন্ত সম্প্রসারণ যেখানে তরঙ্গ প্রায় সমতল থাকে। আল্ট্রাসোনোগ্রাফিতে ব্যবহৃত নির্দেশিত বিমের ক্ষেত্রে, এই শর্ত সাধারণত রেইলি দূরত্ব ''x'' = 1/2 ''ka<sup>2</sup>'' এর মধ্যে মূল লোবের জন্য প্রযোজ্য।<ref name="Hamilton"/> হারমোনিক শব্দ উৎপত্তি প্রকৃতপক্ষে তরঙ্গদৈর্ঘ্যের সংখ্যার সমানুপাতিক, পরম দূরত্বের নয়। উদাহরণস্বরূপ ১০ MHz ফ্রিকোয়েন্সির তরঙ্গ ১০ সেন্টিমিটার গভীরতা পর্যন্ত পৌঁছাতে ৫০০ তরঙ্গদৈর্ঘ্য অতিক্রম করে।
*[[অরৈখিক প্যারামিটার|অরৈখিক প্যারামিটারে]] B/A এর পর্যাপ্ত মান থাকা। একই শব্দ তীব্রতার জন্য যে পদার্থের B/A মান বেশি তা দ্রুত হারমোনিক তৈরি করে। জলে B/A মান বায়ুর চেয়ে দশগুণ বেশি এবং কিছু জীবতন্তু টিস্যুতে এই মান জলের দ্বিগুণ পর্যন্ত হতে পারে।
*কম শব্দ শোষণ, অনেক জীবতন্তু টিস্যুতে যেখানে B/A এর মান বেশি সেখানে শব্দ শোষণও বেশি হয়ে থাকে। কারণ উচ্চ ফ্রিকোয়েন্সিতে তরঙ্গ দ্রুত শোষিত হয়। ফলে তৈরি হওয়া হারমোনিক মূল ফ্রিকোয়েন্সির তুলনায় সহজেই শোষিত হয়। এই প্রভাবের ফলে জীবতন্তু টিস্যুতে B/A এর প্রভাব কমে যায়।
এই শর্তগুলো পর্যালোচনা করলে বোঝা যায় অনেক ক্ষেত্রে জীব চিকিৎসাবিষয়ক আল্ট্রাসাউন্ডে উল্লেখযোগ্য হারমোনিক তৈরি হয়। এই হারমোনিক তৈরি ব্যবহার করে দুটি গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োগ গড়ে উঠছে:
*শব্দোত্তর তরঙ্গে রেকর্ড করা সংকেতে হারমোনিক উপাদান ব্যবহার। কারণ শব্দ তীব্রতা এবং সম্প্রসারণের দূরত্ব মূল লোবেই সবচেয়ে বেশি তাই হারমোনিক মূলত মূল লোবেই বেশি তৈরি হয় এবং সাইড লোবগুলোতে কম হয়। ফলে দ্বিতীয় হারমোনিক দ্বারা তৈরি বিমের দিকনির্দেশনা ক্ষমতা মূল ফ্রিকোয়েন্সির বিমের চেয়ে বেশি হয়। এতে ইমেজের মান উন্নত করা সম্ভব হয়।<ref name="Duck"/>
*টিস্যুর বৈশিষ্ট্য নির্ধারণে B/A প্যারামিটার ব্যবহার করে হারমোনিক প্রোফাইল বিশ্লেষণ। [[অরৈখিকতার প্যারামিটার|অরৈখিক প্যারামিটার]] অনুযায়ী একই শব্দ প্রতিবন্ধকতা থাকা সত্ত্বেও বিভিন্ন টিস্যুর B/A মান ভিন্ন হয়। এর ফলে আল্ট্রাসাউন্ড তরঙ্গের হারমোনিক উপাদান টিস্যুর B/A মানের ভিত্তিতে চিত্র তৈরি করতে পারে। এই ধারণার ব্যবহারিক প্রয়োগ এখনো উন্নয়ন পর্যায়ে আছে, কারণ বর্তমান ইমেজিং প্রযুক্তি এখনো এই সম্ভাবনাকে সম্পূর্ণভাবে কাজে লাগাতে পারেনি।<ref name="Duck_2010"/>
== বহিঃসংযোগ ==
* [http://www.piezotechnologies.com/Resources/White-Papers.aspx মেডিকেল আল্ট্রাসনিক রূপান্তরক]
== তথ্যসূত্র ==
{{reflist|refs=
<ref name = "Pierce" >Pierce, A. D. 1989. Radiation from Sources Near and on Solid Surfaces. In Acoustics : An Introduction to its Physical Principles and Applications. Woodbury, N.Y., Acoustical Society of America.</ref>
<ref name = "Pierce_sd" >Pierce, A. D. 1989. Scattering and Diffraction. In Acoustics : An Introduction to its Physical Principles and Applications. Woodbury, N.Y., Acoustical Society of America.</ref>
<ref name="Kinsler">Kinsler, L. E., Frey, A. R., Coppens, A. B., Sanders, J. V. 2000.Radiation and Reception of Acoustic Waves. In Fundamentals of Acoustics. New York, Wiley.</ref>
<ref name="Kinsler_rt">Kinsler, L. E., Frey, A. R., Coppens, A. B., Sanders, J. V. 2000. Reflection and Transmission. In Fundamentals of Acoustics. New York, Wiley.</ref>
<ref name="Cheeke">Cheeke, J. D. N. 2002. Finite Beams, Radiation, Diffraction, and Scattering. In Fundamentals and Applications of Ultrasonic Waves. Boca Raton, CRC Press.</ref>
<ref name="Cobbold">Cobbold, R. S. C. 2007. Foundations of Biomedical Ultrasound. Nonlinear Ultrasonics. Oxford University Press.</ref>
<ref name="Cobbold_ia">Cobbold, R. S. C. 2007. Ultrasound Imaging Arrays. In Foundations of Biomedical Ultrasound. Nonlinear Ultrasonics. Oxford University Press.</ref>
<ref name="Cobbold_su">Cobbold, R. S. C. 2007. Scattering of Ultrasound. In Foundations of Biomedical Ultrasound. Nonlinear Ultrasonics. Oxford University Press.</ref>
<ref name ="Duck">Duck, F. A. 2002. "Nonlinear Acoustics in Diagnostic Ultrasound." Ultrasound in Medicine & Biology 28(1).</ref>
<ref name ="Wiki_sono">Wikipedia, 2010. "Medical Ultrasonography”</ref>
<ref name="Kremkau">Kremkau, F. W. 2002. Diagnostic Ultrasound : Principles and Instruments. Philadelphia, W.B. Saunders</ref>
<ref name="Hamilton">Hamilton, M. F., Blackstock, D. T. 2008. Sound Beams. In Nonlinear Acoustics. Melville, NY, Acoustical Society of America.</ref>
<ref name="Duck_2010">Duck, F. 2010. Tissue non-linearity. Proceedings of the Institution of Mechanical Engineers, Part H: Journal of Engineering in Medicine 224(2).</ref>
}}
as6p8rxm2imdt4dahmwir68593bsxid
84669
84668
2025-06-17T19:17:39Z
Asikur.rahman25
11164
/* রোগনির্ণয়ে প্রয়োগ */
84669
wikitext
text/x-wiki
{{Engineering Acoustics}}
== জৈব-চিকিৎসা শব্দোত্তর তরঙ্গ ==
প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান উইকিবইয়ের এই অধ্যায়ে জৈব-চিকিৎসা শব্দোত্তর তরঙ্গের প্রয়োগগুলোর সংক্ষিপ্ত পরিচিতি এবং শব্দোত্তর রশ্মির জন্য কিছু প্রাথমিক শব্দতাত্ত্বিক বিশ্লেষণ উপস্থাপন করা হয়েছে। পুরো জৈব-চিকিৎসা শব্দোত্তর তরঙ্গ ক্ষেত্রটি নানা মৌলিক শাস্ত্রের সমন্বয়ে গঠিত এবং এতে বহু বিষয়ে গবেষণার সুযোগ রয়েছে। তাই এই সংক্ষিপ্ত লেখাটি শব্দোত্তর তরঙ্গের সব দিক আলোচনা করে না। বরং এটি পাঠকদের একটি প্রাথমিক ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করে, যাতে আগ্রহীরা এই বিষয়ে আরও বিস্তারিতভাবে অধ্যয়ন করতে পারেন। যাঁরা আরও গভীরভাবে জানতে চান তাঁদের জন্য কোবোল্ড এর ২০০৭ সালের গ্রন্থটি <ref name="Cobbold"/> সুপারিশ করা হয়েছে।
== রোগনির্ণয়ে প্রয়োগ ==
জৈব-চিকিৎসা শব্দোত্তর তরঙ্গের সবচেয়ে পরিচিত প্রয়োগ হলো চিকিৎসা চিত্রায়ন যাকে শব্দোত্তর চিত্রায়ন বা আল্ট্রাসনোগ্রাফি বলা হয়। শব্দোত্তর চিত্রায়নের নির্দিষ্ট প্রয়োগগুলোর তালিকার জন্য সংশ্লিষ্ট [[w:মেডিকেল আল্ট্রাসনোগ্রাফি|উইকিপিডিয়া নিবন্ধ]]টি দেখুন। নিচের অংশে শব্দোত্তর চিত্র তৈরির জন্য যে শব্দতাত্ত্বিক প্রক্রিয়া ব্যবহৃত হয় তা গুণগতভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
একটি শব্দোত্তর তরঙ্গ রূপান্তরক স্বল্পস্থায়ী উচ্চ কম্পাঙ্কের শব্দ তরঙ্গ নির্গত করে। প্রয়োগ অনুযায়ী এই তরঙ্গের কম্পাঙ্ক ১ মেগাহার্টজ থেকে ১৫ মেগাহার্টজ পর্যন্ত হতে পারে।<ref name="Kremkau"/> নির্গত শব্দ তরঙ্গ যখন শরীরের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে, তখন শব্দ প্রতিবন্ধকতার (''ρc'') পার্থক্যের ক্ষেত্রে আংশিক প্রতিফলন বা বিকিরণ ঘটে। চিকিৎসা চিত্রায়নের প্রসঙ্গে, এটি ঘটে শরীরের যেখানে ঘনত্বের তারতম্য রয়েছে যেমন হাড় ও পেশির সংযোগস্থলে, রক্তরসের মধ্যে রক্তকণিকা, অঙ্গের ছোট গঠন ইত্যাদিতে।<ref name="Wiki_sono"/>
প্রতিফলিত তরঙ্গের আচরণ নির্ভর করে প্রতিফলক গঠনের আকার এবং প্রেরিত শব্দ তরঙ্গের তরঙ্গদৈর্ঘ্যের উপর। যদি তরঙ্গদৈর্ঘ্য ছোট হয়, তাহলে প্রতিফলন ঘটে শব্দ পরিবাহিতা ও প্রতিফলনের নিয়ম অনুযায়ী তা স্বাভাবিক হোক বা তির্যক।<ref name="Kinsler_rt"/> আর যদি তরঙ্গদৈর্ঘ্য প্রতিফলক গঠনের তুলনায় বড় হয়, তখন শব্দ বিকিরণের নিয়ম প্রযোজ্য হয়।<ref name="Pierce_sd"/> এই দ্বিতীয় অবস্থা, যা ছোট প্রতিফলন উৎসের ক্ষেত্রে ঘটে, সেটিই নির্ধারণ করে শব্দোত্তর চিত্রায়নে কোন কম্পাঙ্ক ব্যবহার করা হবে। কোবোল্ড এর বিশ্লেষণ অনুযায়ী,<ref name="Cobbold_su"/> একটি সমতল তরঙ্গ যখন একটি গোলীয় প্রতিফলক উৎসে পড়ে যার কার্যকর ব্যাসার্ধ ''a'', তখন বিকিরিত তরঙ্গের শব্দ তীব্রতা, ''I<sub>s</sub>'', পরিবর্তিত হয় এই সূত্র অনুযায়ী:
<br>
:<math>
I_s \propto \frac{a^6}{\lambda ^4}
</math>
এই সূত্রটি দেখায়, যখন তরঙ্গদৈর্ঘ্য প্রতিফলক উৎসের তুলনায় বড় হয়, তখন প্রতিফলিত শক্তি খুব কম হয়ে যায়। ফলে রূপান্তরকে উল্লেখযোগ্য প্রতিফলিত তরঙ্গ ফেরত আসে না। শব্দোত্তর চিত্রে একটি গঠন স্পষ্টভাবে ধরতে হলে, নির্গত তরঙ্গের তরঙ্গদৈর্ঘ্য সেই গঠনের চেয়ে ছোট হতে হবে। তরঙ্গদৈর্ঘ্য নির্বাচন করতে গিয়ে আরও কিছু বিষয় বিবেচনা করতে হয়: যেহেতু শব্দ তরঙ্গ পরিবাহনের পথে ক্ষয়প্রাপ্ত হয়, তাই কম কম্পাঙ্ক বেশি গভীরে ছবি তুলতে সাহায্য করে। অন্যদিকে, বেশি কম্পাঙ্ক (ছোট তরঙ্গদৈর্ঘ্য) নির্গত রশ্মিকে সরু ফোকাসে কেন্দ্রীভূত করতে সহায়তা করে।<ref name="Kremkau"/> নিচের টেবিলে বিভিন্ন কম্পাঙ্কে পানিতে তরঙ্গদৈর্ঘ্যের সঙ্গে সম্পর্ক দেখানো হয়েছে (''λ'' = ''c''/''f'')।
<br>
{| class="wikitable" style="text-align: center;" align="center"
|+ টেবিল ১: চিকিৎসা ক্ষেত্রে ব্যবহৃত শব্দোত্তর তরঙ্গের কম্পাঙ্ক ও সংশ্লিষ্ট তরঙ্গদৈর্ঘ্য।
|-
| কম্পাঙ্ক (মেগাহার্টজ) || ১ || ২ || ৫ || ৮ || ১০ || ১২ || ১৫
|-
| তরঙ্গদৈর্ঘ্য (মিলিমিটার) || ১.৫০ || ০.৭৫ || ০.৩০ || ০.১৯ || ০.১৫ || ০.১৩ || ০.১০
|}
তরঙ্গ নির্গত হওয়ার পর শব্দোত্তর রূপান্তরক একটি গ্রাহকের মতো কাজ করতে পারে—যেমন একটি মাইক্রোফোন বা হাইড্রোফোন। প্রতিফলিত তরঙ্গ বা ঘনত্ব পরিবর্তনের কারণে ফিরে আসা তরঙ্গ রূপান্তরকে এসে রেকর্ড হয়। প্রেরিত ও প্রাপ্ত সংকেতের মধ্যকার সময় ব্যবধান থেকে প্রতিফলন উৎসের দূরত্ব নির্ণয় করা যায়। আর প্রাপ্ত সংকেতের তীব্রতা থেকে প্রতিফলনের শাব্দিক প্রতিবন্ধকতা এবং আকার সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়।<ref name="Wiki_sono"/> যেখানে ডপলার শব্দোত্তর চিত্রায়ন ব্যবহার করা হয়, সেখানে প্রেরিত ও প্রাপ্ত সংকেতের কম্পাঙ্ক পরিবর্তন থেকে প্রতিফলক উৎসের গতি নির্ধারণ করা যায়।
আধুনিক শব্দোত্তর চিত্রায়নে ছোট ছোট অনেক রূপান্তরকের সমষ্টি ব্যবহার করা হয়, যেগুলোর প্রতিটি আলাদাভাবে ইলেকট্রনিকভাবে নিয়ন্ত্রিত হয় [[w:বিমফর্মিং|বিমফর্মিং]] নামের একটি কৌশল ব্যবহার করে। এই পদ্ধতিতে, প্রতিটি রূপান্তরকের তরঙ্গের ধাপের সম্পর্ক নিয়ন্ত্রণ করে নির্গত রশ্মির দিক ও ফোকাস গভীরতা নিয়ন্ত্রণ করা যায়।<ref name="Cobbold_ia"/> একটি দ্বিমাত্রিক শব্দোত্তর চিত্র তৈরি করতে হলে, রশ্মির ফোকাল অবস্থান একটি অঞ্চলের মধ্যে ধীরে ধীরে সরানো হয় এবং প্রতিফলিত তরঙ্গগুলো রেকর্ড করে সেই নির্দিষ্ট অবস্থানের সঙ্গে সংযুক্ত করা হয়। এই সাধারণ প্রক্রিয়াটি বিভিন্ন যন্ত্রে ভিন্নভাবে সম্পন্ন হয়। নিচে একটি ২-মাত্রিক শব্দোত্তর চিত্র দেখানো হয়েছে, যা ফোকাস অঞ্চল সরিয়ে নেওয়ার মাধ্যমে তৈরি হয়েছে।
<br>
[[Image:CRL Crown rump length 12 weeks ecografia Dr. Wolfgang Moroder.jpg|thumb|center|420px|চিত্র ১: দ্বি-মাত্রিক গর্ভকালীন শব্দোত্তর তরঙ্গ চিত্র।]]
== ক্লিনিকাল ও চিকিৎসামূলক প্রয়োগ ==
উচ্চ তীব্রতাসম্পন্ন কেন্দ্রীভূত শব্দোত্তর তরঙ্গ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ক্লিনিকাল ও চিকিৎসামূলক প্রয়োগে ব্যবহৃত হয়। এই ধরনের প্রয়োগে সাধারণত উচ্চ তীব্রতার শব্দ তরঙ্গের অপচয়ের ফলে যে তাপ উৎপন্ন হয় সেটাই চিকিৎসার মূল কার্যকারিতা তৈরি করে। কিছু ক্ষেত্রে যেমন [[w:লিথোট্রিপসি|লিথোট্রিপসি]] তে চিকিৎসামূলক প্রভাব শব্দ তরঙ্গের অরৈখিকতার কারণে সৃষ্টি হয়। এতে [[তরঙ্গ বিকৃতি|তরঙ্গ বিকৃতি]] ও [[ঘাত তরঙ্গের গঠন|ঘাত তরঙ্গ]] তৈরি হয়। এই প্রভাব সম্পর্কে [[#পরবর্তী এক খণ্ডে|পরবর্তী এক খণ্ডে]] আরও বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
নিচে শব্দোত্তর তরঙ্গের কয়েকটি চিকিৎসামূলক প্রয়োগের আংশিক তালিকা দেওয়া হলো:
* [[w:ডেন্টাল হাইজেনিস্ট|ডেন্টাল হাইজেনিস্ট]] পেশায় দাঁত পরিষ্কারের জন্য শব্দোত্তর তরঙ্গ কখনো কখনো ব্যবহার করা হয়।
* কেন্দ্রীভূত শব্দোত্তর তরঙ্গ ব্যবহার করে নির্দিষ্ট স্থানে উচ্চ তাপ উৎপন্ন করে সিস্ট ও টিউমার (সৌম্য বা মারাত্মক) চিকিৎসা করা হয়। একে ফোকাসড আল্ট্রাসাউন্ড সার্জারি বা উচ্চ তীব্রতা কেন্দ্রিক শব্দোত্তর বলা হয়। এই প্রক্রিয়ায় সাধারণত চিকিৎসা-নির্ণয়ের শব্দোত্তর তরঙ্গের চেয়ে কম কম্পাঙ্ক (২৫০ কিলোহার্টজ থেকে ২০০০ কিলোহার্টজ পর্যন্ত) ব্যবহার করা হলেও, এর শক্তি অনেক বেশি হয়।
* লিথোট্রিপসি ব্যবহার করে কিডনির পাথর ভাঙার জন্য কেন্দ্রীভূত শব্দোত্তর তরঙ্গ ব্যবহার করা হয়।
* [[w:ফ্যাকোইমালসিফিকেশন|ফ্যাকোইমালসিফিকেশন]] পদ্ধতিতে ছানির চিকিৎসায় শব্দোত্তর তরঙ্গ ব্যবহার করা হয়।
* [[W:নিম্ন-তীব্রতার শব্দোত্তর তরঙ্গ|নিম্ন-তীব্রতার শব্দোত্তর তরঙ্গের]] আরও কিছু শারীরবৃত্তীয় প্রভাব সম্প্রতি আবিষ্কৃত হয়েছে, যেমন হাড়ের বৃদ্ধি উদ্দীপিত করা এবং ওষুধ পরিবহনের জন্য [[w:রক্ত-মস্তিষ্ক প্রতিবন্ধক|রক্ত-মস্তিষ্ক প্রতিবন্ধক]] অতিক্রমের সম্ভাবনা।
== শব্দোত্তর রশ্মির শব্দতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য ==
প্রাথমিকভাবে ধরে নেওয়া যায় শব্দোত্তর রশ্মি একটি অনন্ত বাফলে একটি সমতল বৃত্তাকার পিস্টন দোলনের ফলে উৎপন্ন হয়। বাস্তবে এ ধরনের ব্যবস্থায় শব্দ রশ্মির অনেক বেশি বিস্তার পার্শ্ব-লোবের তীব্রতা এবং নির্দিষ্ট কেন্দ্রে দৈর্ঘ্য নির্ধারণের অক্ষমতা দেখা দেয়। বর্তমান চিকিৎসা ক্ষেত্রে বিমফর্মিং নামে পরিচিত একটি সাধারণ পদ্ধতির অংশ হিসেবে ফেজড অ্যারে ব্যবহার করা হয়। যদিও সমতল রূপান্তরকগুলোর কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে তবে এগুলোর সহজ বিশ্লেষণের মাধ্যমে গঠিত যে কোনো রশ্মির মৌলিক বৈশিষ্ট্য ও উন্নত প্রযুক্তির নকশার চ্যালেঞ্জ বোঝানো যায়।
সরল বৃত্তাকার রূপান্তরকের জন্য ব্যবহৃত বিশ্লেষণ পদ্ধতিটি পিয়ার্স,<ref name="Pierce"/> কিনসলার <ref name="Kinsler"/> এবং চিকি<ref name="Cheeke"/> এর মতো বহু শব্দতত্ত্ব গ্রন্থে দেখা যায়। এখানে প্রথমে মুক্ত বায়ুতে কম্পমান একটি ছোট গোলকীয় উৎসের হারমোনিক গতি থেকে নির্গত শব্দ বিবেচনা করে শব্দ ক্ষেত্র নির্ধারণ করা হয়। সেই উৎস থেকে প্রাপ্ত শব্দ চাপ ক্ষেত্র নিম্নরূপ:
<br>
:<math>
\boldsymbol{P} = i\left(\frac{\rho_o c U_o k a^2}{r} \right )e^{-ikr}
</math>
:<math>
I(r) = \frac{1}{2}\rho_o c_o U_o^2 \left(\frac{a}{r} \right )^2 \left(ka \right )^2
</math>
এখানে '''''P'''''(''r'') হলো রেডিয়াল দূরত্ব ''r'' এ হারমোনিক চাপের পরিমাণ ''ρ<sub>o</sub>'' হলো তরলের ঘনত্ব, ''c<sub>o</sub>'' তরলের শব্দের বেগ, ''U<sub>o</sub>'' হলো গোলক উৎসের সর্বাধিক বেগ, ''a'' হলো গোলকের ব্যাসার্ধ, এবং ''k'' = 2''πf''/''c<sub>o</sub>'' হলো তরঙ্গ সংখ্যা। উপরের সমীকরণগুলোতে ''i'' = -1<sup>1/2</sup> যা হারমোনিক চাপ ভেরিয়েবলে প্রশস্ততা ও ধাপ উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে।
এই ফলাফলটি রূপান্তরককে একটি বৃত্তাকার রেডিয়েটর হিসেবে প্রয়োগ করতে হলে প্রতিটি অতি ক্ষুদ্র অংশকে একটি আলাদা গোলীয় উৎস হিসেবে ধরা যায়। এর ফলে গঠিত শব্দ ক্ষেত্র হলো প্রতিটি গোলীয় উৎসের ইন্টিগ্রাল যোগফল। সাধারণভাবে এ ধরনের সমীকরণ বিশ্লেষণমূলকভাবে সমাধান করা যায় না। তবে যখন r >> a (যেখানে ''a'' হলো এখন রূপান্তরকের ব্যাসার্ধ) ধরা হয় তখন একটি সরল ফলাফল পাওয়া যায়। পুরো ডেরিভেশন এখানে না দিয়ে (বিশদ দেখতে কিনসলার <ref name="Kinsler"/> অথবা চিকি <ref name="Cheeke"/> দেখুন) শব্দ ক্ষেত্র এবং শব্দ তীব্রতার সমীকরণগুলো হলো:
<br>
:<math>
\boldsymbol{P}(r, \theta) = i \left( \tfrac{1}{2}\rho_o c_o U_o \frac{a}{r}ka \right ) H(\theta)e^{-ikr},
</math>
:<math>
H(\theta) = \frac{2J_1(ka\sin\theta)}{ka \sin \theta},
</math>
:<math>
I(r,\theta) = \frac{|\boldsymbol{P}(r)|^2}{2\rho_oc_o},
</math>
এখানে ''H''(''θ'') হলো নির্দেশিকা ফাংশন ''J<sub>1</sub>'' হলো [http://en.wikipedia.org/wiki/Bessel_function প্রথম প্রকারের বেসেল ফাংশন] এবং ''I''(''r'') হলো W/m<sup>2</sup> এককে শব্দ তীব্রতা। বাস্তবিক অর্থে নির্দেশিকা ফাংশনটি রশ্মির সেই সকল কোণে চাপের পরিমাণ দেখায় যা রূপান্তরকের অক্ষ বরাবর নয়। বেশেল ফাংশনের মূল যেসব কোণে চাপ শূন্য করে সেগুলো পার্শ্ব-লোব নামে পরিচিত। এই কোণগুলোর মধ্যবর্তী অঞ্চলে থাকে পার্শ্ব-লোব আর অক্ষ বরাবর যে অংশ থাকে তা মূল লোব নামে পরিচিত। বাস্তবে এই লোবগুলো সৃষ্টি হয় রূপান্তরকের বিভিন্ন অংশ থেকে নির্গত তরঙ্গগুলোর ধাপীয় মিথস্ক্রিয়ার ফলে। এটি কিছুটা সরল কম্পাঙ্ক তরঙ্গের চাপ গাঁটে চাপশূন্য অবস্থার সঙ্গে তুলনীয়।
উদাহরণস্বরূপ ১ মেগাহার্টজ শব্দোত্তর রশ্মি জলীয় মাধ্যমে ১ সেন্টিমিটার ব্যাসার্ধের রূপান্তরক দিয়ে প্রেরণ করা হলে নির্দেশিকা ফাংশন এবং শব্দ তীব্রতা কীভাবে পার্শ্ব-লোব তৈরি করে তা দেখা যায়। নিচের চিত্র ২ এ নির্দেশিকা ফাংশন দেখানো হয়েছে এবং চিত্র ৩ এ রূপান্তরকের পৃষ্ঠে তীব্রতার তুলনায় শব্দ তীব্রতা চিত্রায়িত হয়েছে।
<br>
[[Image:Beam_Function_1MHz.png|thumb|center|520px| চিত্র ২: জলীয় মাধ্যমে ১ মেগাহার্টজ শব্দোত্তর তরঙ্গ নির্গতকারী ১ সেন্টিমিটার ব্যাসার্ধের রূপান্তরকের জন্য রশ্মি ফাংশন।]]
[[Image:1MHz_Ultrasound_Intensity.png|thumb|center|520px| চিত্র ৩: জলীয় মাধ্যমে ১ মেগাহার্টজ শব্দোত্তর তরঙ্গ নির্গতকারী ১ সেন্টিমিটার ব্যাসার্ধের রূপান্তরকের শব্দ তীব্রতার স্বাভাবিকৃত ক্ষেত্র।]]
চিকিৎসা-সংক্রান্ত আল্ট্রাসাউন্ড ব্যবহারের ক্ষেত্রে সাইড লোব একটি অপ্রত্যাশিত প্রভাব হিসেবে বিবেচিত হয়। ডায়াগনস্টিক ইমেজিংয়ে সাইড লোব থেকে প্রতিফলিত তরঙ্গগুলো প্রধান বিম থেকে প্রতিফলনের মতো ভুলভাবে ব্যাখ্যা করা হতে পারে। এর ফলে ইমেজের গুণমান কমে যায়। চিকিৎসা-সংক্রান্ত কাজে সাইড লোব এমন এলাকায় শক্তি ছড়িয়ে দেয় যেখানে প্রভাব ফেলার উদ্দেশ্য থাকে না। এই সমস্যাগুলো কমানোর জন্য আল্ট্রাসাউন্ড যন্ত্রে [http://en.wikipedia.org/wiki/Beamforming বিমফর্মিং] তত্ত্বের ভিত্তিতে রূপান্তরক ডিজাইন করা হয়। যা সাধারণ নলাকার রূপান্তরকের তুলনায় বিশ্লেষণকে অনেক জটিল করে তোলে। সাইড লোব কমানোর একটি কৌশল হলো একটি নির্দিষ্ট গভীরতায় প্রধান বিমকে কেন্দ্রীভূত করতে ফেজড অ্যারে ব্যবহার করা। এর ফলে সাইড লোবার আপেক্ষিক তীব্রতা হ্রাস পায়। আরেকটি কৌশল একোস্টিক শ্যাডোয়িং, রূপান্তরকের কিনারায় অপেক্ষাকৃত কম তীব্রতার তরঙ্গ প্রেরণ করে সাইড লোব কমায়। যেমনটি পরবর্তী অংশে আলোচনা করা হবে সাইড লোব কমানো এবং ফোকাস বৃদ্ধি করার জন্য নতুন একটি কৌশল হলো আল্ট্রাসাউন্ড বিমে ইচ্ছাকৃতভাবে নন-লিনিয়ার শব্দ প্রভাবের বিবেচনা।<ref name="Cobbold"/><ref name="Duck"/>
== জীব চিকিৎসাবিষয়ে শব্দোত্তর তরঙ্গে অরৈখিক শব্দবিজ্ঞান ==
অনেক ক্ষেত্রে শব্দতত্ত্ব প্রয়োগে তরঙ্গের রৈখিক সম্প্রসারণের ধারণা যথেষ্ট হয়ে থাকে। কিন্তু জীবচিকিৎসাবিষয়ক আল্ট্রাসাউন্ডে শব্দ তরঙ্গের সম্প্রসারণের সময় প্রায়শই একটি ক্রমাগত বিকৃতির সৃষ্টি হয় যা অরৈখিক এবং সীমিত মাত্রার প্রভাবে ঘটে। ডায়াগনস্টিক আল্ট্রাসাউন্ডে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অরৈখিক প্রভাব হলো তরঙ্গে হারমোনিক তৈরি হওয়া। এই অংশের প্রারম্ভিক প্রস্তুতি হিসেবে [[অরৈখিকতার শব্দ প্যারামিটার|অরৈখিক শব্দ প্যারামিটার]] এবং [[হারমোনিক শব্দ উৎপত্তি|হারমোনিক শব্দ উৎপত্তি]] সম্পর্কে পুনরালোচনা করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
জীব চিকিৎসাবিষয়ক শব্দোত্তর তরঙ্গে প্রাসঙ্গিক অরৈখিকতা তুলনামূলকভাবে দুর্বল। ফলে এদের প্রভাব ধীরে ধীরে দূরত্বের সঙ্গে সঙ্গে জমা হতে থাকে। উল্লেখযোগ্য হারমোনিক তৈরি হওয়ার জন্য চারটি শর্ত পূরণ হওয়া প্রয়োজন:
*প্রচুর পরিমাণে চাপ এবং বেগের তীব্রতা থাকা। জীবচিকিৎসাবিষয়ক প্রায় সব প্রয়োগেই এই শর্ত পূরণ হয়।<ref name="Duck_2010"/>
*পর্যাপ্ত দূরত্ব পর্যন্ত সম্প্রসারণ যেখানে তরঙ্গ প্রায় সমতল থাকে। আল্ট্রাসোনোগ্রাফিতে ব্যবহৃত নির্দেশিত বিমের ক্ষেত্রে, এই শর্ত সাধারণত রেইলি দূরত্ব ''x'' = 1/2 ''ka<sup>2</sup>'' এর মধ্যে মূল লোবের জন্য প্রযোজ্য।<ref name="Hamilton"/> হারমোনিক শব্দ উৎপত্তি প্রকৃতপক্ষে তরঙ্গদৈর্ঘ্যের সংখ্যার সমানুপাতিক, পরম দূরত্বের নয়। উদাহরণস্বরূপ ১০ MHz ফ্রিকোয়েন্সির তরঙ্গ ১০ সেন্টিমিটার গভীরতা পর্যন্ত পৌঁছাতে ৫০০ তরঙ্গদৈর্ঘ্য অতিক্রম করে।
*[[অরৈখিক প্যারামিটার|অরৈখিক প্যারামিটারে]] B/A এর পর্যাপ্ত মান থাকা। একই শব্দ তীব্রতার জন্য যে পদার্থের B/A মান বেশি তা দ্রুত হারমোনিক তৈরি করে। জলে B/A মান বায়ুর চেয়ে দশগুণ বেশি এবং কিছু জীবতন্তু টিস্যুতে এই মান জলের দ্বিগুণ পর্যন্ত হতে পারে।
*কম শব্দ শোষণ, অনেক জীবতন্তু টিস্যুতে যেখানে B/A এর মান বেশি সেখানে শব্দ শোষণও বেশি হয়ে থাকে। কারণ উচ্চ ফ্রিকোয়েন্সিতে তরঙ্গ দ্রুত শোষিত হয়। ফলে তৈরি হওয়া হারমোনিক মূল ফ্রিকোয়েন্সির তুলনায় সহজেই শোষিত হয়। এই প্রভাবের ফলে জীবতন্তু টিস্যুতে B/A এর প্রভাব কমে যায়।
এই শর্তগুলো পর্যালোচনা করলে বোঝা যায় অনেক ক্ষেত্রে জীব চিকিৎসাবিষয়ক আল্ট্রাসাউন্ডে উল্লেখযোগ্য হারমোনিক তৈরি হয়। এই হারমোনিক তৈরি ব্যবহার করে দুটি গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োগ গড়ে উঠছে:
*শব্দোত্তর তরঙ্গে রেকর্ড করা সংকেতে হারমোনিক উপাদান ব্যবহার। কারণ শব্দ তীব্রতা এবং সম্প্রসারণের দূরত্ব মূল লোবেই সবচেয়ে বেশি তাই হারমোনিক মূলত মূল লোবেই বেশি তৈরি হয় এবং সাইড লোবগুলোতে কম হয়। ফলে দ্বিতীয় হারমোনিক দ্বারা তৈরি বিমের দিকনির্দেশনা ক্ষমতা মূল ফ্রিকোয়েন্সির বিমের চেয়ে বেশি হয়। এতে ইমেজের মান উন্নত করা সম্ভব হয়।<ref name="Duck"/>
*টিস্যুর বৈশিষ্ট্য নির্ধারণে B/A প্যারামিটার ব্যবহার করে হারমোনিক প্রোফাইল বিশ্লেষণ। [[অরৈখিকতার প্যারামিটার|অরৈখিক প্যারামিটার]] অনুযায়ী একই শব্দ প্রতিবন্ধকতা থাকা সত্ত্বেও বিভিন্ন টিস্যুর B/A মান ভিন্ন হয়। এর ফলে আল্ট্রাসাউন্ড তরঙ্গের হারমোনিক উপাদান টিস্যুর B/A মানের ভিত্তিতে চিত্র তৈরি করতে পারে। এই ধারণার ব্যবহারিক প্রয়োগ এখনো উন্নয়ন পর্যায়ে আছে, কারণ বর্তমান ইমেজিং প্রযুক্তি এখনো এই সম্ভাবনাকে সম্পূর্ণভাবে কাজে লাগাতে পারেনি।<ref name="Duck_2010"/>
== বহিঃসংযোগ ==
* [http://www.piezotechnologies.com/Resources/White-Papers.aspx মেডিকেল আল্ট্রাসনিক রূপান্তরক]
== তথ্যসূত্র ==
{{reflist|refs=
<ref name = "Pierce" >Pierce, A. D. 1989. Radiation from Sources Near and on Solid Surfaces. In Acoustics : An Introduction to its Physical Principles and Applications. Woodbury, N.Y., Acoustical Society of America.</ref>
<ref name = "Pierce_sd" >Pierce, A. D. 1989. Scattering and Diffraction. In Acoustics : An Introduction to its Physical Principles and Applications. Woodbury, N.Y., Acoustical Society of America.</ref>
<ref name="Kinsler">Kinsler, L. E., Frey, A. R., Coppens, A. B., Sanders, J. V. 2000.Radiation and Reception of Acoustic Waves. In Fundamentals of Acoustics. New York, Wiley.</ref>
<ref name="Kinsler_rt">Kinsler, L. E., Frey, A. R., Coppens, A. B., Sanders, J. V. 2000. Reflection and Transmission. In Fundamentals of Acoustics. New York, Wiley.</ref>
<ref name="Cheeke">Cheeke, J. D. N. 2002. Finite Beams, Radiation, Diffraction, and Scattering. In Fundamentals and Applications of Ultrasonic Waves. Boca Raton, CRC Press.</ref>
<ref name="Cobbold">Cobbold, R. S. C. 2007. Foundations of Biomedical Ultrasound. Nonlinear Ultrasonics. Oxford University Press.</ref>
<ref name="Cobbold_ia">Cobbold, R. S. C. 2007. Ultrasound Imaging Arrays. In Foundations of Biomedical Ultrasound. Nonlinear Ultrasonics. Oxford University Press.</ref>
<ref name="Cobbold_su">Cobbold, R. S. C. 2007. Scattering of Ultrasound. In Foundations of Biomedical Ultrasound. Nonlinear Ultrasonics. Oxford University Press.</ref>
<ref name ="Duck">Duck, F. A. 2002. "Nonlinear Acoustics in Diagnostic Ultrasound." Ultrasound in Medicine & Biology 28(1).</ref>
<ref name ="Wiki_sono">Wikipedia, 2010. "Medical Ultrasonography”</ref>
<ref name="Kremkau">Kremkau, F. W. 2002. Diagnostic Ultrasound : Principles and Instruments. Philadelphia, W.B. Saunders</ref>
<ref name="Hamilton">Hamilton, M. F., Blackstock, D. T. 2008. Sound Beams. In Nonlinear Acoustics. Melville, NY, Acoustical Society of America.</ref>
<ref name="Duck_2010">Duck, F. 2010. Tissue non-linearity. Proceedings of the Institution of Mechanical Engineers, Part H: Journal of Engineering in Medicine 224(2).</ref>
}}
0xj00rnz4q291pk047fpc5frushzhw3
মাধ্যমিক পদার্থবিজ্ঞান/ত্বরণ
0
24724
84653
77683
2025-06-17T17:41:07Z
Firuz Ahmmed
6176
সংশোধন
84653
wikitext
text/x-wiki
ত্বরণ: ত্বরণ হলো এমন একটি বিষয় যেখানে দ্রুতগামী বস্তুগুলো তাদের বর্তমান গতির সাপেক্ষে আরও দ্রুত গতি অর্জন করতে পারে। ফেরারি গাড়ির দাম বেশি হওয়ার একটি কারণ হলো এগুলি সাধারণ টয়োটার চেয়ে দ্রুত ত্বরণ লাভ করতে পারে, তবে এর দাম প্রায় ২০ গুণ বেশি।
চিরায়ত সমীকরণ: নিউটনের দ্বিতীয় সূত্র
:<math>Acceleration=\frac{Force}{Mass}</math>
আপনি হয়তো জানেন না ত্বরণ হলো সময়ের সাপেক্ষে বেগের পরিবর্তনের পরিমাপ। এটি বেগের থেকে ভিন্ন, কারণ বেগ হলো সময়ের সাপেক্ষে দূরত্বের পরিমাপ।
আপনি হয়তো জানেন না: গাড়ির ক্ষেত্রে প্রয়োগ
দূরত্ব - দূরত্ব হলো আপনি কতটা পথ অতিক্রম করলেন, তা (উদাহরণস্বরূপ, মাইলে) পরিমাপ করা হয়।
গতি - গতি হলো নির্দিষ্ট সময়ে আপনি কতটা পথ পাড়ি দিলেন (ঘণ্টায় ২০ মাইল এবং ঘণ্টায় ১০০ মাইল এর মধ্যে পার্থক্য)।
ত্বরণ - ত্বরণ হলো সময়ের সাথে আপনার গতি কীভাবে পরিবর্তিত হচ্ছে (যেমনটা ফেরারি এবং টয়োটা করোলার উদাহরণে বলা হয়েছে)।
{{BookCat}}
enhstcjgvt62xvht7jhrbizocvivub8
মাধ্যমিক পদার্থবিজ্ঞান/তাপ
0
24726
84652
77688
2025-06-17T17:27:49Z
Firuz Ahmmed
6176
সংশোধন
84652
wikitext
text/x-wiki
"ছাত্রছাত্রীরা, তোমরা যেমন জানো, তাপের অস্তিত্বের কারণ হলো এটি কেবলই শক্তির আরেকটি রূপ। যখন তোমরা বলো যে তোমরা তাপকে এড়াতে চাও, তখন এর অর্থ এই যে তোমরা এই মহাবিশ্ব থেকে বেরিয়ে যেতে চাও! তাপের অস্তিত্ব না থাকলে বাস্তব জগতে অনেক কিছুরই অস্তিত্ব থাকত না। তাপই সেই জিনিস যা ব্রাউনিকে মচমচে করে। তাপই বরফ গলিয়ে দেয়।"
ধারণা:- তাপগতিবিদ্যার ৩টি সূত্র। - এনট্রপি এবং এনথালপি।
সমস্যা:- গরম এবং ঠান্ডা পানি মেশালে স্থিতিশীল তাপমাত্রা।
প্রয়োগ: রান্না।
{{BookCat}}
oinei4jd0w819g8j6ppyz2ufr3msjzb
রন্ধনপ্রণালী:ইলিশ মাছের মালাইকারি
104
24929
84802
80317
2025-06-18T08:22:39Z
Mehedi Abedin
7113
84802
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = মাছ রন্ধনপ্রণালী
| পরিবেশন = পরিমান অনুসারে, কমপক্ষে ৩-৪ জন।
| তৈরির সময় = ৩০ মিনিট
| কষ্টসাধ্য = ৪
| চিত্র =
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''ইলিশ মাছের মালাইকারি'''</big></center>
ইলিশ মাছের মালাইকারি হলো ইলিশের ঘ্রাণ ও নারকেল দুধের স্বাদের এক দুর্দান্ত সংমিশ্রণ। এই পদে ইলিশ মাছকে হালকা ভেজে নিয়ে নারকেল দুধ, কাঁচা লঙ্কা ও অল্প মশলার সঙ্গে ধীরে ধীরে রান্না করা হয়, যাতে মাছের স্বাদ অটুট থাকে এবং ঝোল হয় সুস্বাদু ও সুগন্ধযুক্ত। এটি মশলাদার অথচ সহজপাচ্য একটি রান্না, যা গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশিত হলে ভোজনরসিক বাঙালির হৃদয় জয় করে সহজেই।
==উপকরন==
{|class="wikitable"
! উপকরণ !! পরিমাণ
|-
| ইলিশ মাছের টুকরো || ৪টি
|-
| টক দই || এক কাপ
|-
| নারকেলের দুধ || দু কাপ
|-
| আদা বাটা || ১ চা চামচ
|-
| জিরে বাটা || আধ চা চামচ
|-
| পেঁয়াজ বাটা || ১ টেবিল চামচ
|-
| কিশমিশ বাটা || ১ টেবিল চামচ
|-
| হলুদগুঁড়ো || আধ চা চামচ
|-
| লাল লঙ্কারগুঁড়ো || ১ চা চামচ
|-
| চেরা কাঁচা লঙ্কা || ৪-৫টি
|-
| পেঁয়াজকুচি || ১ কাপ
|-
| নুন || পরিমাণমতো
|-
| চিনি || ২ চা চামচ
|-
| তেল || পরিমাণমতো
|}
== রন্ধনপ্রণালী ==
# ইলিশ মাছ যদি টাটকা থাকে তাহলে কাঁচা মাছ দিয়েই রান্না করতে পারেন। আর মাছ বাসি হয় তাহলে প্রথমে হালকা করে ভেজে নিলে ভাল।
# কড়াইয়ে তেল গরম করে পেঁয়াজ ভাজতে দিন।
# পেঁয়াজ লাল রং ধারন করলে ও ভাজা ভাজা হয়ে এলে সব বাটা মশলা আর গুঁড়ো মশলা দিয়ে কষাতে থাকুন।
# মশলা কষানো হয়ে এলে তাতে টক দই আর নুন দিন ও আরও কিছু ক্ষণ নাড়াচাড়া করুন।
# মিনিট পাঁচেক পরে নারকেলের দুধ ঢেলে দিন কড়াইয়ে।
# দুধ দিয়ে কিছু ক্ষণ ফোটানোর পরে তাতে চিনি, কাঁচালঙ্কা দিন
# এরপর ইলিস মাছের পিসগুলি দিয়ে দিন।
# ঝোল ঘন হয়ে এলে নামিয়ে নিন।<span style=color:red;><center>'''গরম ভাতের সঙ্গে ইলিশের মালাইকারি পরিবেশন করুন।'''</center></span>
[[বিষয়শ্রেণী:রন্ধনপ্রণালী]]
[[বিষয়শ্রেণী:মাছ রন্ধনপ্রণালী]]
ttbn36oj9zh3nddqip3es5l3ml9ygdo
84803
84802
2025-06-18T08:23:08Z
Mehedi Abedin
7113
/* উপকরন */
84803
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = মাছ রন্ধনপ্রণালী
| পরিবেশন = পরিমান অনুসারে, কমপক্ষে ৩-৪ জন।
| তৈরির সময় = ৩০ মিনিট
| কষ্টসাধ্য = ৪
| চিত্র =
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''ইলিশ মাছের মালাইকারি'''</big></center>
ইলিশ মাছের মালাইকারি হলো ইলিশের ঘ্রাণ ও নারকেল দুধের স্বাদের এক দুর্দান্ত সংমিশ্রণ। এই পদে ইলিশ মাছকে হালকা ভেজে নিয়ে নারকেল দুধ, কাঁচা লঙ্কা ও অল্প মশলার সঙ্গে ধীরে ধীরে রান্না করা হয়, যাতে মাছের স্বাদ অটুট থাকে এবং ঝোল হয় সুস্বাদু ও সুগন্ধযুক্ত। এটি মশলাদার অথচ সহজপাচ্য একটি রান্না, যা গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশিত হলে ভোজনরসিক বাঙালির হৃদয় জয় করে সহজেই।
==উপকরন==
{|class="wikitable"
! উপকরণ !! পরিমাণ
|-
| ইলিশ মাছের টুকরো || ৪টি
|-
| টক দই || এক কাপ
|-
| নারকেলের দুধ || দু কাপ
|-
| আদা বাটা || ১ চা চামচ
|-
| জিরে বাটা || আধ চা চামচ
|-
| পেঁয়াজ বাটা || ১ টেবিল চামচ
|-
| কিশমিশ বাটা || ১ টেবিল চামচ
|-
| হলুদের গুঁড়ো || আধ চা চামচ
|-
| লাল লঙ্কার গুঁড়ো || ১ চা চামচ
|-
| চেরা কাঁচা লঙ্কা || ৪-৫টি
|-
| পেঁয়াজ কুচি || ১ কাপ
|-
| নুন || পরিমাণমতো
|-
| চিনি || ২ চা চামচ
|-
| তেল || পরিমাণমতো
|}
== রন্ধনপ্রণালী ==
# ইলিশ মাছ যদি টাটকা থাকে তাহলে কাঁচা মাছ দিয়েই রান্না করতে পারেন। আর মাছ বাসি হয় তাহলে প্রথমে হালকা করে ভেজে নিলে ভাল।
# কড়াইয়ে তেল গরম করে পেঁয়াজ ভাজতে দিন।
# পেঁয়াজ লাল রং ধারন করলে ও ভাজা ভাজা হয়ে এলে সব বাটা মশলা আর গুঁড়ো মশলা দিয়ে কষাতে থাকুন।
# মশলা কষানো হয়ে এলে তাতে টক দই আর নুন দিন ও আরও কিছু ক্ষণ নাড়াচাড়া করুন।
# মিনিট পাঁচেক পরে নারকেলের দুধ ঢেলে দিন কড়াইয়ে।
# দুধ দিয়ে কিছু ক্ষণ ফোটানোর পরে তাতে চিনি, কাঁচালঙ্কা দিন
# এরপর ইলিস মাছের পিসগুলি দিয়ে দিন।
# ঝোল ঘন হয়ে এলে নামিয়ে নিন।<span style=color:red;><center>'''গরম ভাতের সঙ্গে ইলিশের মালাইকারি পরিবেশন করুন।'''</center></span>
[[বিষয়শ্রেণী:রন্ধনপ্রণালী]]
[[বিষয়শ্রেণী:মাছ রন্ধনপ্রণালী]]
3xujh0pf1ef4owantcvffu27upsrbu6
84804
84803
2025-06-18T08:23:54Z
Mehedi Abedin
7113
84804
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = মাছ রন্ধনপ্রণালী
| পরিবেশন = পরিমান অনুসারে, কমপক্ষে ৩-৪ জন।
| তৈরির সময় = ৩০ মিনিট
| কষ্টসাধ্য = ৪
| চিত্র =
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''ইলিশ মাছের মালাইকারি'''</big></center>
ইলিশ মাছের মালাইকারি হলো ইলিশের ঘ্রাণ ও নারকেল দুধের স্বাদের এক দুর্দান্ত সংমিশ্রণ। এই পদে ইলিশ মাছকে হালকা ভেজে নিয়ে নারকেল দুধ, কাঁচা লঙ্কা ও অল্প মশলার সঙ্গে ধীরে ধীরে রান্না করা হয়, যাতে মাছের স্বাদ অটুট থাকে এবং ঝোল হয় সুস্বাদু ও সুগন্ধযুক্ত। এটি মশলাদার অথচ সহজপাচ্য একটি রান্না, যা গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশিত হলে ভোজনরসিক বাঙালির হৃদয় জয় করে সহজেই।
==উপকরন==
{|class="wikitable"
! উপকরণ !! পরিমাণ
|-
| ইলিশ মাছের টুকরো || ৪টি
|-
| টক দই || এক কাপ
|-
| নারকেলের দুধ || দু কাপ
|-
| আদা বাটা || ১ চা চামচ
|-
| জিরে বাটা || আধ চা চামচ
|-
| পেঁয়াজ বাটা || ১ টেবিল চামচ
|-
| কিশমিশ বাটা || ১ টেবিল চামচ
|-
| হলুদের গুঁড়ো || আধ চা চামচ
|-
| লাল লঙ্কার গুঁড়ো || ১ চা চামচ
|-
| চেরা কাঁচা লঙ্কা || ৪-৫টি
|-
| পেঁয়াজ কুচি || ১ কাপ
|-
| নুন || পরিমাণমতো
|-
| চিনি || ২ চা চামচ
|-
| তেল || পরিমাণমতো
|}
== রন্ধনপ্রণালী ==
# ইলিশ মাছ যদি টাটকা থাকে তাহলে কাঁচা মাছ দিয়েই রান্না করতে পারেন। আর মাছ বাসি হয় তাহলে প্রথমে হালকা করে ভেজে নিলে ভাল।
# কড়াইয়ে তেল গরম করে পেঁয়াজ ভাজতে দিন।
# পেঁয়াজ লাল রং ধারন করলে ও ভাজা ভাজা হয়ে এলে সব বাটা মশলা আর গুঁড়ো মশলা দিয়ে কষাতে থাকুন।
# মশলা কষানো হয়ে এলে তাতে টক দই আর নুন দিন ও আরও কিছুক্ষণ নাড়াচাড়া করুন।
# মিনিট পাঁচেক পরে নারকেলের দুধ ঢেলে দিন কড়াইয়ে।
# দুধ দিয়ে কিছুক্ষণ ফোটানোর পরে তাতে চিনি, কাঁচালঙ্কা দিন
# এরপর ইলিশ মাছের পিসগুলি দিয়ে দিন।
# ঝোল ঘন হয়ে এলে নামিয়ে নিন।<span style=color:red;><center>'''গরম ভাতের সঙ্গে ইলিশের মালাইকারি পরিবেশন করুন।'''</center></span>
[[বিষয়শ্রেণী:রন্ধনপ্রণালী]]
[[বিষয়শ্রেণী:মাছ রন্ধনপ্রণালী]]
7vfj7cm4n0ph9pl2dc6cpbvyyttjc1i
রন্ধনপ্রণালী:ইলিশ কাবাব
104
24931
84805
80315
2025-06-18T08:27:08Z
Mehedi Abedin
7113
84805
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = মাছ রন্ধনপ্রণালী
| পরিবেশন = পরিমান অনুসারে, কমপক্ষে ৩-৪ জন।
| তৈরির সময় = ৩০–৩৫ মিনিট
| কষ্টসাধ্য = ৪
| চিত্র =
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''ইলিশ কাবাব'''</big></center>
ইলিশ কাবাব হলো ইলিশ মাছের এক অভিনব এবং লোভনীয় রূপ, যেখানে ইলিশের নরম, তেলতেলে মাছ মশলা মিশিয়ে গোল করে কাবাবের মতো করে বানানো হয় এবং হালকা ভেজে বা গ্রিল করে পরিবেশন করা হয়। এতে ইলিশের স্বাদ বজায় থাকলেও ভিন্নধর্মী আকার ও গন্ধ থাকে, যা সাবেক বাঙালি রান্নার বাইরে এক নতুন অভিজ্ঞতা দেয়। এটি জলখাবার হিসেবেও পরিবেশযোগ্য।
==উপকরন==
{|class="wikitable"
! উপকরণ !! পরিমাণ
|-
| ইলিশ মাছ || ৪ থেকে ৫ টুকরো
|-
| পেঁয়াজ || ১টি (মাঝারি ও কোঁচানো)
|-
| আদা বাটা || ১ চা চামচ
|-
| রসুন বাটা || ১ চা চামচ
|-
| কাঁচা লঙ্কা কুচি || ২টি
|-
| ধনে পাতা কুচি || ১ টেবিল চামচ
|-
| গরম মসলা গুঁড়ো || ১/২ চা চামচ
|-
| ভাজা জিরে গুঁড়ো || ১/২ চা চামচ
|-
| লেবুর রস || ১ চা চামচ
|-
| নুন || স্বাদমতো
|-
| চিনি || সামান্য
|-
| আলু || ১টি
|-
| ডিম || ১টি
|-
| পাউরুটির গুড়ো || প্রয়োজনে (গোলাকৃতি কাবাব বানাতে ও মচমচে করতে)
|-
| তেল || ভাজার জন্য
|}
== রন্ধনপ্রণালী ==
# ইলিশ মাছের টুকরো গুলি প্রথমে ভালো করে ধুয়ে নিন। তারপ্র সেগুলি হাল্কা ভেজে নিন অথবা চাইলেও গরম জলে মাছগুলি সেদ্ধ করে নিতে পারেন।
# তারপর মাছগুলি থেকে সমস্ত কাঁটা বেছে নিয়ে হাত দিয়ে ভেঙে মাছগুলি গুঁড়ো করে নিন
# একটি আলু সেদ্ধ করে নিন এবং ভালো করে থেতলে নিন।
# এবার একটি বড় বাটিতে গুঁড়ো করা ইলিশ মাছ, সেদ্ধ আলু, পেঁয়াজ কুচি, আদা-রসুন বাটা, কাঁচা লঙ্কা, ধনে পাতা, লেবুর রস, গরম মসলা, জিরে গুঁড়ো, নুন ও সামান্য চিনি দিয়ে ভালোভাবে মেখে নিন।এবার মিশ্রণটি কিছুক্ষণ ফ্রিজে রেখে দিন যাতে সেটি সামান্য কঠিন আকার ধারন করে।
# মিশ্রণটি ফ্রিজ থেকে বের করুন। হাতে অল্প তেল মেখে মিশ্রণ্টি থেকে কিছুটা নিয়ে হাতের সাহায্যে চেপে ছোট ছোট গোল বা চ্যাপ্টা আকারের কাবাব গড়ে নিন।
# একটি ডিম ফেটিয়ে নিন ও সেই ফেটানো ডিমে একটি একটি করে কাবাব ডুবিয়ে নিন। এবার সেই ডিমে চোবানো কাবাবের উপর পাউরুটির গুড়ো দিয়ে ঢেকে দিন। প্রতিটি কাবাবকেই এভাবে প্রস্তুত করুন।
# কড়ায় তেল গরম করে মাঝারি আঁচে একে একে কাবাবগুলো দিন। কাবাবগুলি সোনালি রং ধারন না করা অবধি ভাজুন।<span style=color:red;><center>'''চাটনি, সালাদ বা সস দিয়ে গরম গরম ইলিশ কাবাব পরিবেশন করুন।'''</center></span>
[[বিষয়শ্রেণী:রন্ধনপ্রণালী]]
[[বিষয়শ্রেণী:মাছ রন্ধনপ্রণালী]]
hhx9c4rawf28vd1rqnc303l94nt0oec
84806
84805
2025-06-18T08:27:47Z
Mehedi Abedin
7113
84806
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = মাছ রন্ধনপ্রণালী
| পরিবেশন = পরিমান অনুসারে, কমপক্ষে ৩-৪ জন।
| তৈরির সময় = ৩০–৩৫ মিনিট
| কষ্টসাধ্য = ৪
| চিত্র =
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''ইলিশ কাবাব'''</big></center>
ইলিশ কাবাব হলো ইলিশ মাছের এক অভিনব এবং লোভনীয় রূপ, যেখানে ইলিশের নরম, তেলতেলে মাছ মশলা মিশিয়ে গোল করে কাবাবের মতো করে বানানো হয় এবং হালকা ভেজে বা গ্রিল করে পরিবেশন করা হয়। এতে ইলিশের স্বাদ বজায় থাকলেও ভিন্নধর্মী আকার ও গন্ধ থাকে, যা সাবেক বাঙালি রান্নার বাইরে এক নতুন অভিজ্ঞতা দেয়। এটি জলখাবার হিসেবেও পরিবেশযোগ্য।
==উপকরন==
{|class="wikitable"
! উপকরণ !! পরিমাণ
|-
| ইলিশ মাছ || ৪ থেকে ৫ টুকরো
|-
| পেঁয়াজ || ১টি (মাঝারি ও কোঁচানো)
|-
| আদা বাটা || ১ চা চামচ
|-
| রসুন বাটা || ১ চা চামচ
|-
| কাঁচা লঙ্কা কুচি || ২টি
|-
| ধনে পাতা কুচি || ১ টেবিল চামচ
|-
| গরম মসলা গুঁড়ো || ১/২ চা চামচ
|-
| ভাজা জিরে গুঁড়ো || ১/২ চা চামচ
|-
| লেবুর রস || ১ চা চামচ
|-
| নুন || স্বাদমতো
|-
| চিনি || সামান্য
|-
| আলু || ১টি
|-
| ডিম || ১টি
|-
| পাউরুটির গুড়ো || প্রয়োজনে (গোলাকৃতি কাবাব বানাতে ও মচমচে করতে)
|-
| তেল || ভাজার জন্য
|}
== রন্ধনপ্রণালী ==
# ইলিশ মাছের টুকরো গুলি প্রথমে ভালো করে ধুয়ে নিন। তারপর সেগুলি হাল্কা ভেজে নিন অথবা চাইলেও গরম জলে মাছগুলি সেদ্ধ করে নিতে পারেন।
# তারপর মাছগুলি থেকে সমস্ত কাঁটা বেছে নিয়ে হাত দিয়ে ভেঙে মাছগুলি গুঁড়ো করে নিন
# একটি আলু সেদ্ধ করে নিন এবং ভালো করে থেতলে নিন।
# এবার একটি বড় বাটিতে গুঁড়ো করা ইলিশ মাছ, সেদ্ধ আলু, পেঁয়াজ কুচি, আদা-রসুন বাটা, কাঁচা লঙ্কা, ধনে পাতা, লেবুর রস, গরম মসলা, জিরে গুঁড়ো, নুন ও সামান্য চিনি দিয়ে ভালোভাবে মেখে নিন। এবার মিশ্রণটি কিছুক্ষণ ফ্রিজে রেখে দিন যাতে সেটি সামান্য কঠিন আকার ধারন করে।
# মিশ্রণটি ফ্রিজ থেকে বের করুন। হাতে অল্প তেল মেখে মিশ্রণ্টি থেকে কিছুটা নিয়ে হাতের সাহায্যে চেপে ছোট ছোট গোল বা চ্যাপ্টা আকারের কাবাব গড়ে নিন।
# একটি ডিম ফেটিয়ে নিন ও সেই ফেটানো ডিমে একটি একটি করে কাবাব ডুবিয়ে নিন। এবার সেই ডিমে চোবানো কাবাবের উপর পাউরুটির গুড়ো দিয়ে ঢেকে দিন। প্রতিটি কাবাবকেই এভাবে প্রস্তুত করুন।
# কড়ায় তেল গরম করে মাঝারি আঁচে একে একে কাবাবগুলো দিন। কাবাবগুলি সোনালি রং ধারন না করা অবধি ভাজুন।<span style=color:red;><center>'''চাটনি, সালাদ বা সস দিয়ে গরম গরম ইলিশ কাবাব পরিবেশন করুন।'''</center></span>
[[বিষয়শ্রেণী:রন্ধনপ্রণালী]]
[[বিষয়শ্রেণী:মাছ রন্ধনপ্রণালী]]
aoga1egsbaqrzwg5sbu9ciem7khz3ew
84807
84806
2025-06-18T08:28:25Z
Mehedi Abedin
7113
84807
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = মাছ রন্ধনপ্রণালী
| পরিবেশন = পরিমান অনুসারে, কমপক্ষে ৩-৪ জন।
| তৈরির সময় = ৩০–৩৫ মিনিট
| কষ্টসাধ্য = ৪
| চিত্র =
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''ইলিশ কাবাব'''</big></center>
ইলিশ কাবাব হলো ইলিশ মাছের এক অভিনব এবং লোভনীয় রূপ, যেখানে ইলিশের নরম, তেলতেলে মাছ মশলা মিশিয়ে গোল করে কাবাবের মতো করে বানানো হয় এবং হালকা ভেজে বা গ্রিল করে পরিবেশন করা হয়। এতে ইলিশের স্বাদ বজায় থাকলেও ভিন্নধর্মী আকার ও গন্ধ থাকে, যা ঐতিহ্যবাহী বাঙালি রান্নার বাইরে এক নতুন অভিজ্ঞতা দেয়। এটি জলখাবার হিসেবেও পরিবেশযোগ্য।
==উপকরন==
{|class="wikitable"
! উপকরণ !! পরিমাণ
|-
| ইলিশ মাছ || ৪ থেকে ৫ টুকরো
|-
| পেঁয়াজ || ১টি (মাঝারি ও কোঁচানো)
|-
| আদা বাটা || ১ চা চামচ
|-
| রসুন বাটা || ১ চা চামচ
|-
| কাঁচা লঙ্কা কুচি || ২টি
|-
| ধনে পাতা কুচি || ১ টেবিল চামচ
|-
| গরম মসলা গুঁড়ো || ১/২ চা চামচ
|-
| ভাজা জিরে গুঁড়ো || ১/২ চা চামচ
|-
| লেবুর রস || ১ চা চামচ
|-
| নুন || স্বাদমতো
|-
| চিনি || সামান্য
|-
| আলু || ১টি
|-
| ডিম || ১টি
|-
| পাউরুটির গুড়ো || প্রয়োজনে (গোলাকৃতি কাবাব বানাতে ও মচমচে করতে)
|-
| তেল || ভাজার জন্য
|}
== রন্ধনপ্রণালী ==
# ইলিশ মাছের টুকরো গুলি প্রথমে ভালো করে ধুয়ে নিন। তারপর সেগুলি হাল্কা ভেজে নিন অথবা চাইলেও গরম জলে মাছগুলি সেদ্ধ করে নিতে পারেন।
# তারপর মাছগুলি থেকে সমস্ত কাঁটা বেছে নিয়ে হাত দিয়ে ভেঙে মাছগুলি গুঁড়ো করে নিন
# একটি আলু সেদ্ধ করে নিন এবং ভালো করে থেতলে নিন।
# এবার একটি বড় বাটিতে গুঁড়ো করা ইলিশ মাছ, সেদ্ধ আলু, পেঁয়াজ কুচি, আদা-রসুন বাটা, কাঁচা লঙ্কা, ধনে পাতা, লেবুর রস, গরম মসলা, জিরে গুঁড়ো, নুন ও সামান্য চিনি দিয়ে ভালোভাবে মেখে নিন। এবার মিশ্রণটি কিছুক্ষণ ফ্রিজে রেখে দিন যাতে সেটি সামান্য কঠিন আকার ধারন করে।
# মিশ্রণটি ফ্রিজ থেকে বের করুন। হাতে অল্প তেল মেখে মিশ্রণ্টি থেকে কিছুটা নিয়ে হাতের সাহায্যে চেপে ছোট ছোট গোল বা চ্যাপ্টা আকারের কাবাব গড়ে নিন।
# একটি ডিম ফেটিয়ে নিন ও সেই ফেটানো ডিমে একটি একটি করে কাবাব ডুবিয়ে নিন। এবার সেই ডিমে চোবানো কাবাবের উপর পাউরুটির গুড়ো দিয়ে ঢেকে দিন। প্রতিটি কাবাবকেই এভাবে প্রস্তুত করুন।
# কড়ায় তেল গরম করে মাঝারি আঁচে একে একে কাবাবগুলো দিন। কাবাবগুলি সোনালি রং ধারন না করা অবধি ভাজুন।<span style=color:red;><center>'''চাটনি, সালাদ বা সস দিয়ে গরম গরম ইলিশ কাবাব পরিবেশন করুন।'''</center></span>
[[বিষয়শ্রেণী:রন্ধনপ্রণালী]]
[[বিষয়শ্রেণী:মাছ রন্ধনপ্রণালী]]
b3tl049sk7m3nfompc4pno4puhp724z
রন্ধনপ্রণালী:তন্দুরি চিংড়ি
104
24947
84808
78217
2025-06-18T08:34:19Z
Mehedi Abedin
7113
84808
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = মাছ রন্ধনপ্রণালী
| পরিবেশন = পরিমান অনুসারে, কমপক্ষে ৫-৬ জন।
| তৈরির সময় = ৩০ মিনিট- ১ ঘন্টা
| কষ্টসাধ্য = ৪
| চিত্র =
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''তন্দুরি চিংড়ি'''</big></center>
তন্দুরি চিংড়ি একটি জনপ্রিয় ও মুখরোচক ভারতীয় খাবার, যা মূলত চিংড়ি মাছকে দই, মসলা ও লেবুর রস মাখিয়ে তন্দুর নামক এক বিশেষ চুলা বা গ্রিলে সেঁকে তৈরি করা হয়। তন্দুরের ধূমায়িত ঘ্রাণ, মশলার গভীর স্বাদ এবং চিংড়ির কোমলতা একত্রে মিশে এ এক অসাধারণ মুখরোচক পদ। সাধারণত এটি ভোজবাড়িতে বা জলখাবার হিসেবে পরিবেশন করা হয়। বিশেষ করে জলসা, অতিথি আপ্যায়ন বা উৎসবের সময় এই খাবারের চাহিদা আছে। টক দই ও মশলায় মাখিয়ে রাখার ফলে চিংড়ি নরম, সুস্বাদ রসালো হয়ে ওঠে এবং মুখে দিলেই গলে যায়। পুদিনা চাটনি ও লেবুর টুকরোর সঙ্গে পরিবেশন করলে এর স্বাদ আরও বেড়ে যায়।
==উপকরন==
{| class="wikitable"
! উপকরন !! পরিমান
|-
| বড় সাইজের চিংড়ি মাছ || ৫০০ গ্রাম
|-
| টক দই || ১/২ কাপ
|-
| আদা বাটা || ১ চা চামচ
|-
| রসুন বাটা || ১ চা চামচ
|-
| লেবুর রস || ১ টেবিল চামচ
|-
| কাশ্মীরি লাল লঙ্কা গুঁড়ো || ১ চা চামচ (রঙ ও হালকা ঝালের জন্য)
|-
| গরম মসলা গুঁড়ো || ১/২ চা চামচ
|-
| ভাজা জিরে গুঁড়ো || ১/২ চা চামচ
|-
| চাট মসলা || ১/২ চা চামচ (ঐচ্ছিক)
|-
| সরষের তেল বা বাটার || ২ টেবিল চামচ
|-
| নুন || স্বাদমতো
|-
| কাঁচা লঙ্কা বাটা / পেস্ট || ১/২ চা চামচ (ঝাল পছন্দ অনুযায়ী)
|}
== রন্ধনপ্রণালী ==
# চিংড়ি মাছগুলি পরিষ্কার করে ধুয়ে খোলস ছাড়ান। লেজের অংশটি ছাড়াবেন না
# এবার তন্দুর মশলা বানানোর জন্য একটি বড় পাত্রে টক দই, আদা-রসুন বাটা, লেবুর রস, লাল লঙ্কা গুঁড়ো, গরম মসলা, জিরে গুঁড়ো, চাট মসলা, কাঁচা লঙ্কা বাটা, নুন ও তেল দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন।
# তৈরি করা মসলায় পরিষ্কার করা চিংড়ি মাছ গুলো দিয়ে মিশিয়ে কমপক্ষে ৩০ মিনিট থেকে ১ ঘণ্টা ঢেকে রেখে দিন। যদি ফ্রিজে রাখেন তাহলে আরো ভালো হয়।
# এবার ওভেন ২০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাওমাত্রায় প্রি-হিট করুন।
# মশলা মাখানো চিংড়ি গুলো একটি স্কিউয়ার বা লাঠিতে গেঁথে অথবা বেকিং ট্রেতে সাজিয়ে দিন।
# ১০–১৫ মিনিট বেক করুন এবং মাঝে একবার তেল ব্রাশ করে দিন।
# শেষে ২–৩ মিনিট গ্রিল মোডে রাখলে সুন্দর ঝলসানো রং আসবে।
# যদি আপনার ওভেন না থাকে তাহলে বিশেষভাবে তৈরি নন-স্টিক কড়াই ব্যাবহার করুন। প্রথমে কড়াইতে নন সামান্য তেল গরম করুন।
# তেল গরম হলে তার মধ্যে মসলা মাখানো চিংড়ি গুলো দিয়ে দিন।
# প্রতি পাশে ৩–৪ মিনিট অন্তর চিংড়িগুলি উল্টাতে থাকুন
# চিংড়ি মাছগুলি উভয় দিক ভালোভাবে সেঁকে নিন যতক্ষণ না সোনালি রং ধারন করে।<span style=color:red;><center>'''পুদিনা চাটনি, পেঁয়াজ কুচি, লেবুর টুকরো ও সালাদের সঙ্গে গরম গরম তন্দুরি চিংড়ি পরিবেশন করুন।'''</center></span>
ag48479c8i7jl9gqtjfuhcks50r9vsq
84809
84808
2025-06-18T08:35:29Z
Mehedi Abedin
7113
84809
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = মাছ রন্ধনপ্রণালী
| পরিবেশন = পরিমান অনুসারে, কমপক্ষে ৫-৬ জন।
| তৈরির সময় = ৩০ মিনিট- ১ ঘন্টা
| কষ্টসাধ্য = ৪
| চিত্র =
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''তন্দুরি চিংড়ি'''</big></center>
তন্দুরি চিংড়ি একটি জনপ্রিয় ও মুখরোচক ভারতীয় খাবার, যা মূলত চিংড়ি মাছকে দই, মসলা ও লেবুর রস মাখিয়ে তন্দুর নামক এক বিশেষ চুলা বা গ্রিলে সেঁকে তৈরি করা হয়। তন্দুরের ধূমায়িত ঘ্রাণ, মশলার গভীর স্বাদ এবং চিংড়ির কোমলতা একত্রে মিশে এ এক অসাধারণ মুখরোচক পদ। সাধারণত এটি ভোজবাড়িতে বা জলখাবার হিসেবে পরিবেশন করা হয়। বিশেষ করে জলসা, অতিথি আপ্যায়ন বা উৎসবের সময় এই খাবারের চাহিদা আছে। টক দই ও মশলায় মাখিয়ে রাখার ফলে চিংড়ি নরম, সুস্বাদু ও রসালো হয়ে ওঠে এবং মুখে দিলেই গলে যায়। পুদিনা চাটনি ও লেবুর টুকরোর সঙ্গে পরিবেশন করলে এর স্বাদ আরও বেড়ে যায়।
==উপকরন==
{| class="wikitable"
! উপকরন !! পরিমান
|-
| বড় সাইজের চিংড়ি মাছ || ৫০০ গ্রাম
|-
| টক দই || ১/২ কাপ
|-
| আদা বাটা || ১ চা চামচ
|-
| রসুন বাটা || ১ চা চামচ
|-
| লেবুর রস || ১ টেবিল চামচ
|-
| কাশ্মীরি লাল লঙ্কা গুঁড়ো || ১ চা চামচ (রঙ ও হালকা ঝালের জন্য)
|-
| গরম মসলা গুঁড়ো || ১/২ চা চামচ
|-
| ভাজা জিরে গুঁড়ো || ১/২ চা চামচ
|-
| চাট মসলা || ১/২ চা চামচ (ঐচ্ছিক)
|-
| সরষের তেল বা বাটার || ২ টেবিল চামচ
|-
| নুন || স্বাদমতো
|-
| কাঁচা লঙ্কা বাটা / পেস্ট || ১/২ চা চামচ (ঝাল পছন্দ অনুযায়ী)
|}
== রন্ধনপ্রণালী ==
# চিংড়ি মাছগুলি পরিষ্কার করে ধুয়ে খোলস ছাড়ান। লেজের অংশটি ছাড়াবেন না
# এবার তন্দুর মশলা বানানোর জন্য একটি বড় পাত্রে টক দই, আদা-রসুন বাটা, লেবুর রস, লাল লঙ্কা গুঁড়ো, গরম মসলা, জিরে গুঁড়ো, চাট মসলা, কাঁচা লঙ্কা বাটা, নুন ও তেল দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন।
# তৈরি করা মসলায় পরিষ্কার করা চিংড়ি মাছ গুলো দিয়ে মিশিয়ে কমপক্ষে ৩০ মিনিট থেকে ১ ঘণ্টা ঢেকে রেখে দিন। যদি ফ্রিজে রাখেন তাহলে আরো ভালো হয়।
# এবার ওভেন ২০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাওমাত্রায় প্রি-হিট করুন।
# মশলা মাখানো চিংড়ি গুলো একটি স্কিউয়ার বা লাঠিতে গেঁথে অথবা বেকিং ট্রেতে সাজিয়ে দিন।
# ১০–১৫ মিনিট বেক করুন এবং মাঝে একবার তেল ব্রাশ করে দিন।
# শেষে ২–৩ মিনিট গ্রিল মোডে রাখলে সুন্দর ঝলসানো রং আসবে।
# যদি আপনার ওভেন না থাকে তাহলে বিশেষভাবে তৈরি নন-স্টিক কড়াই ব্যাবহার করুন। প্রথমে কড়াইতে নন সামান্য তেল গরম করুন।
# তেল গরম হলে তার মধ্যে মসলা মাখানো চিংড়ি গুলো দিয়ে দিন।
# প্রতি পাশে ৩–৪ মিনিট অন্তর চিংড়িগুলি উল্টাতে থাকুন
# চিংড়ি মাছগুলি উভয় দিক ভালোভাবে সেঁকে নিন যতক্ষণ না সোনালি রং ধারন করে।<span style=color:red;><center>'''পুদিনা চাটনি, পেঁয়াজ কুচি, লেবুর টুকরো ও সালাদের সঙ্গে গরম গরম তন্দুরি চিংড়ি পরিবেশন করুন।'''</center></span>
pts8341gvpxeo7cf1yo9nwudq28735h
রন্ধনপ্রণালী:চিংড়ি কাবাব
104
24961
84812
78259
2025-06-18T08:47:27Z
Mehedi Abedin
7113
84812
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = মাছ রন্ধনপ্রণালী
| পরিবেশন = পরিমান অনুসারে, কমপক্ষে ৪-৫ জন।
| তৈরির সময় = ৩০ মিনিট
| কষ্টসাধ্য = ৪
| চিত্র =
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''চিংড়ি কাবাব'''</big></center>
চিংড়ি কাবাব একটি সুস্বাদু ও অভিনব বাঙালি ফিউশন পদ, যেখানে চিংড়ি মাছের সঙ্গে বিভিন্ন মসলা, ধনে-পাতা, পেঁয়াজ ও পাউরুটির গুঁড়ো মিশিয়ে বানানো হয় নরম মচমচে কাবাব। এটি চাটনি বা সসের সঙ্গে পরিবেশন করা যায় জলখাবার হিসেবে। চিংড়ির নরম ও রসাল স্বাদ এবং মশলার ঝাঁঝালো মিলন এই কাবাবকে করে তোলে ভীষণ জনপ্রিয় ও অতিথি আপ্যায়নের উপযুক্ত একটি পদ। ভাজা বা ওভেনে বেক করেও এটি তৈরি করা যায়।
==উপকরন==
{| class="wikitable"
! উপকরন !! পরিমান
|-
| চিংড়ি মাছ || ৩০০ গ্রাম
|-
| পেঁয়াজ কুচি || ২ টেবিল চামচ
|-
| আদাও রসুন বাটা || ১ টেবিল চামচ
|-
| কাঁচা লঙ্কা কুচি || ২টি
|-
| ধনে পাতা কুচি || ২ টেবিল চামচ
|-
| লেবুর রস || ১ টেবিল চামচ
|-
| ভাজা জিরা গুঁড়ো || ১/২ চা চামচ
|-
| গরম মসলা গুঁড়ো || ১/২ চা চামচ
|-
| সেদ্ধ আলু || ১টি মাঝারি
|-
| পাউরুটির গুঁড়ো || প্রয়োজনমতো
|-
| ডিম || ১টি
|-
| নুন || স্বাদমতো
|-
| তেল || ভাজার জন্য
|}
== রন্ধনপ্রণালী ==
# প্রথমে চিংড়ি মাছগুলি পরিষ্কার করে কুচি কুচি করে কাটুন।
# একটি আলু সেদ্ধ করে ভালো করে থেতলে মেখে নিন।
# এবার একটি বড় পাত্রে চিংড়ি কুচি, পেঁয়াজ কুচি, আদা-রসুন বাটা, কাঁচা লঙ্কা কুচি, ধনে পাতা, সেদ্ধ আলু, লেবুর রস, নুন, গরম মসলা ও জিরা গুঁড়ো একসাথে ভালো করে মিশিয়ে নিন।
# প্রয়োজনে ব্রেডক্রাম্বস বা পাউরুটির গুঁড়ো দিয়ে মিশ্রণটি কিছুটা শক্ত করে নিন যাতে কাবাবের আকার সহজে বানানো হয়।
# এবার এই আঠালো মিশ্রণ থেকে কিছু অংশ নিয়ে হাতের সাহায্যে চেপে ছোট ছোট গোল বা লম্বাটে আকারের কাবাব বানিয়ে নিন।
# একটি ডিম ফেটিয়ে নিন এবং প্রতিটি কাবাব ফেটানো ডিমে ডুবিয়ে নিয়ে সেগুলির উপর পাউরুটির গুঁড়ো মাখিয়ে নিন।
# এবার একতা কড়ায় তেল গরম করে মাঝারি আঁচে কাবাবগুলি ভাজুন যতক্ষন না সেগুলি সোনালি রং ধারন করে ও মচমচে হয়ে যায়।
# এবার কাগজের রুমালের উপর ভাজা কাবাবগুলি রাখুন যাতে কাগজে বাড়তি তেল শুঁষে নেয়।<span style=color:red;><center>'''ধনে পাতার চাটনি, টমেটো সস বা কাসুন্দির সঙ্গে গরম গরম পরিবেশন করুন চিংড়ি কাবাব।'''</center></span>
ijinoju242j0rk04sd4frvkpgze28ue
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/ইংরেজ উপনিবেশ
0
25227
84814
78820
2025-06-18T09:01:41Z
Mehedi Abedin
7113
84814
wikitext
text/x-wiki
== উপনিবেশ স্থাপনের ধরণ ==
রেনেসাঁ যুগে গ্রেট ব্রিটেনের দ্বীপগুলোতে ব্যাপক পরিবর্তন আসে, যার ফলে ইংল্যান্ডের চার্চ প্রতিষ্ঠিত হয়, ব্রিটিশ গৃহযুদ্ধ সংঘটিত হয় এবং অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও আইনগত ব্যবস্থার সম্পূর্ণ রূপান্তর ঘটে। তবুও এই সময়কালে, অন্যান্য জাতি এবং আমেরিকার নিজস্ব আদিবাসীদের চাপ সত্ত্বেও, ইংরেজদের একটি বৈচিত্র্যময় উপনিবেশ গড়ে ওঠে এবং সফল হয়।
এই নতুন উপনিবেশগুলো তিনটি ভিন্ন উপায়ে অর্থায়িত হয়েছিল। একটি পদ্ধতিতে, '''কর্পোরেট উপনিবেশ''' যৌথ স্টক কোম্পানির মাধ্যমে স্থাপিত হতো। যৌথ স্টক কোম্পানি এমন একটি প্রকল্প যেখানে লোকেরা একটি নতুন উপনিবেশ গড়ে তুলতে শেয়ার কিনে বিনিয়োগ করত। উপনিবেশটির সফলতার ওপর ভিত্তি করে, প্রতিটি বিনিয়োগকারী তার ক্রয়কৃত শেয়ারের অনুপাতে লাভ পেত। এই বিনিয়োগ সম্পূর্ণভাবে নিজে উপনিবেশ শুরু করার চেয়ে কম ঝুঁকিপূর্ণ ছিল এবং প্রতিটি বিনিয়োগকারী উপনিবেশ পরিচালনায় প্রভাব ফেলতে পারত। তারা প্রায়ই নিজেদের জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করত। (অন্য মহাদেশে একটি যৌথ স্টক কোম্পানির উদাহরণ হলো ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি)। ভার্জিনিয়ায় এইভাবে বসতি স্থাপন করা হয়েছিল।
'''প্রোপ্রাইটারি উপনিবেশ''' ছিল কোনো ব্যক্তি বা পরিবারের মালিকানাধীন, যারা তাদের ইচ্ছামতো আইন প্রণয়ন ও কর্মকর্তাদের নিয়োগ করত। এই মালিকানার কারণেই উন্নয়ন সরাসরি সংঘটিত হতো। চার্লস দ্বিতীয় উইলিয়াম পেনকে বর্তমান পেনসিলভেনিয়া অঞ্চলটি প্রদান করেন। পেনের নতুন উপনিবেশ কোয়াকারদের আশ্রয় দেয়, যারা ছিল সহস্রাব্দবাদী প্রোটেস্ট্যান্টদের একটি দল হিসেবে ইংল্যান্ডের চার্চের বিরোধিতা করত। (কোয়াকারদের মন্ত্রী থাকত না এবং তারা ধর্মীয় বা নাগরিক বৈষম্যকে মানত না, যা তাদের শ্রেণিভিত্তিক সমাজে বিপজ্জনক উপাদান করে তুলেছিল)। পেন ছিলেন একজন স্পষ্টবাদী কোয়াকার এবং তিনি কোয়াকার বিশ্বাস রক্ষায় অনেক প্রচারপত্র লিখেছিলেন। তিনি অন্যান্য দেশ ও প্রোটেস্ট্যান্ট সংখ্যালঘুদের—এমনকি কিছু ক্যাথলিককেও—উপনিবেশে আসতে আমন্ত্রণ জানান।
সবশেষে, '''রাজকীয় উপনিবেশ''' ছিল রাজা কর্তৃক সরাসরি নিয়ন্ত্রিত এবং সেখানে রাজার নিযুক্ত রাজ্যপাল থাকত। তবে রেজাল্টিং সেটেলমেন্ট বা গঠিত উপনিবেশগুলো সবসময় ইংল্যান্ডের অনুরূপ ছিল না। উদাহরণস্বরূপ, অষ্টম হেনরির শাসনকালে ইংল্যান্ড ক্যাথলিক ধর্ম থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছিল এবং পুরাতন বিশ্বাসকে শুধু ধর্মীয় ভ্রান্তি নয়, বরং বিদেশি আধিপত্যের পূর্বাভাস হিসেবে দেখা হতো। তবুও, মেরিল্যান্ডে ক্যাথলিকদের প্রতি সহনশীলতা ব্রিটিশ মুকুটের পক্ষ থেকে একটি অনুগ্রহ হিসেবে দেওয়া হয়েছিল। ১৬৩৪ সালে লর্ড বাল্টিমোর ইংল্যান্ডের জর্জ ক্যালভার্টকে ভার্জিনিয়ার উত্তরে ও পেনসিলভেনিয়ার দক্ষিণে একটি সরু ভূমি অঞ্চলে একটি ক্যাথলিক উপনিবেশ স্থাপন করার জন্য নিয়োগ দেন রাজকীয় সনদের মাধ্যমে। পনেরো বছর পরে, ১৬৪৯ সালে, তিনি সহনশীলতা আইনে স্বাক্ষর করেন, যা উপনিবেশবাসীদের জন্য ধর্মীয় স্বাধীনতা ঘোষণা করে। মূল সনদ সত্ত্বেও পরে প্রোটেস্ট্যান্টরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ ধর্মে পরিণত হয়। লর্ড বাল্টিমোরের মৃত্যুর কয়েক বছর পর, মেরিল্যান্ডের একজন বিশিষ্ট জমিদারের স্ত্রী মার্গারেট ব্রেন্ট উপনিবেশের গভর্নর হিসেবে তার উইল কার্যকর করেন। তিনি উপনিবেশগুলোতে লিঙ্গভিত্তিক সামাজিক নিয়ম ভেঙে দেন, কারণ তিনি ছিলেন ইংরেজ উপনিবেশে প্রথম অ-রাজপরিবারভুক্ত নারী শাসক।
== ম্যাসাচুসেটস বে উপনিবেশ ==
''ম্যাসাচুসেটস বে উপনিবেশ'', আরেকটি কর্পোরেট উপনিবেশ, প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ইংল্যান্ড থেকে দূরে এমন একটি জায়গা হিসেবে, যেখানে ধর্মীয় ভিন্নমতাবলম্বীরা বসবাস করতে পারবে। পিউরিটানরা ছিল কট্টর প্রোটেস্টান্টদের একটি দল, যারা বাইবেলের মূল ধর্মে ফিরে যাওয়ার দাবি করত। তারা ইংল্যান্ডের রাষ্ট্রীয় চার্চের বিরোধিতা করায় নির্যাতনের শিকার হয় এবং অনেকেই প্রাণ হারায়। ১৬২০ সালে, ৪১ জন পিউরিটান (যারা নিজেদের "তীর্থযাত্রী" বা Pilgrims বলত) নতুন দুনিয়ার উদ্দেশ্যে যাত্রা করে।
তাদের সমসাময়িক বিবরণ অনুযায়ী, পিলগ্রিমদের মূল পরিকল্পনা ছিল বর্তমানে নিউ ইয়র্কের লং আইল্যান্ডের নিকটে হাডসন নদীর অঞ্চলে উপনিবেশ স্থাপন। কেপ কড দর্শনের পর তারা দক্ষিণ দিকে হাডসন নদীর দিকে যেতে চাইলেও, বিপজ্জনক সমুদ্রের সম্মুখীন হয়ে প্রায় জাহাজডুবির শিকার হয়। ফলে তারা আরেকবার দক্ষিণে যাওয়ার ঝুঁকি না নিয়ে কেপ কডেই ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নেয়। কয়েক সপ্তাহ ধরে উপযুক্ত উপনিবেশ স্থাপনের স্থান খোঁজার পর, মেফ্লাওয়ার জাহাজের যাত্রীরা অবশেষে বর্তমান ম্যাসাচুসেটস-এ ১৬২০ সালের ২৬ ডিসেম্বর প্লাইমাউথ-এ নোঙর করে। তারা এটি "ম্যাসাচুসেটস" নামে অভিহিত করে, তখনকার সেখানে বসবাসকারী একটি আদিবাসী গোত্রের নামানুসারে।
[[File:The Mayflower Compact 1620 cph.3g07155.jpg|thumb|Mayflower-এর যাত্রীরা "Mayflower Compact" স্বাক্ষর করছে]]
জন কারভার-এর মৃত্যুর পর গভর্নর নির্বাচিত উইলিয়াম ব্র্যাডফোর্ড একটি জার্নাল লেখেন, যা উপনিবেশবাসীদের দুঃখ-কষ্ট, আদিবাসীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ এবং পরবর্তীতে উপনিবেশের সাফল্য বোঝার জন্য গুরুত্বপূর্ণ দলিল হিসেবে বিবেচিত। পিলগ্রিমরা নিজেদের শাসনের জন্য Mayflower Compact নামক এক চুক্তির মাধ্যমে একমত হয়, যা মেফ্লাওয়ার জাহাজেই স্বাক্ষরিত হয়। দুই বছর পর, তারা কমপ্যাক্টের অধীনে শুরু করা যৌথ মালিকানাভিত্তিক ব্যবস্থাকে ত্যাগ করে এবং ১৬২৩ সালে প্রতিটি পরিবারকে স্বতন্ত্র জমি ভাগ করে দেয়।
দশ বছর পরে, যৌথ স্টকভিত্তিক Massachusetts Bay Company ইংল্যান্ডের রাজা চার্লসের কাছ থেকে একটি সনদ লাভ করে। প্লাইমাউথ উপনিবেশ পরে ম্যাসাচুসেটস বে উপনিবেশের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায়, তবে ১৬৯১ সাল পর্যন্ত এটি আলাদা অবস্থায় ছিল।
পরবর্তীতে, আরও বড় একটি পিলগ্রিম দল নতুন ম্যাসাচুসেটস বে উপনিবেশে অভিবাসন করে। যদিও এটি ইংল্যান্ডের রাষ্ট্রীয় চার্চের অনুসারী ছিল, উপনিবেশটি ধর্মীয় স্বাধীনতা দেয়নি। শুধুমাত্র (পুরুষ) পিউরিটানদের ভোটাধিকার ছিল, The Act of Toleration-এর মাধ্যমে উপনিবেশে পিউরিটান ধর্মকে সরকারি ধর্ম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা হয় এবং যারা তাদের গির্জায় যেত না, তাদের শাস্তি দেওয়া হতো।
== নিউ ইয়র্ক ==
অন্যান্য দেশসমূহও অনুসন্ধান তহবিল জোগাতে যৌথ-স্টক কোম্পানি ব্যবহার করেছিল। ১৬০৯ সালে, ডাচ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি উত্তর আমেরিকার পূর্ব উপকূলে, ৩৮ থেকে ৪৫ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ পর্যন্ত বিস্তৃত একটি ভূখণ্ড আবিষ্কার করে। এটি ছিল Halve Maen ("হাফ মুন") নামক একটি ইয়টের অভিযান, যার নেতৃত্বে ছিলেন হেনরি হাডসন। আদ্রিয়ান ব্লক এবং হেনড্রিক ক্রিস্টিয়ানস্ ১৬১১ থেকে ১৬১৪ সাল পর্যন্ত ঐ অঞ্চলের অনুসন্ধান চালান। ১৬১৪ সালের মার্চ মাসে নেদারল্যান্ডসের শাসন সংস্থা States General নিউ ওয়ার্ল্ড-এ বাণিজ্যের জন্য একচেটিয়া পেটেন্ট ঘোষণা করে। States General নিউ নেদারল্যান্ড উন্নয়নের জন্য একটি ব্যক্তিগত বাণিজ্যিক উদ্যোগ হিসেবে পেটেন্ট ইস্যু করে। নদীপথের সুরক্ষা এবং আদিবাসীদের সাথে বাণিজ্যের জন্য বর্তমানে আলবানি এলাকায় দ্রুত ফোর্ট ন্যাসাও নির্মাণ করা হয়। ১৬২৪ সালে নিউ নেদারল্যান্ড ডাচ প্রজাতন্ত্রের একটি প্রদেশে পরিণত হয়। পরবর্তীতে ইংরেজরা কেপ কড-এর উত্তরে অনুপ্রবেশ করায় উত্তর সীমা ৪২ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশে নামিয়ে আনা হয়।
Law of Nations অনুযায়ী, কোনো অঞ্চলের দাবি প্রতিষ্ঠা করতে হলে শুধু আবিষ্কার ও মানচিত্র তৈরিই নয়, বসতি স্থাপনও প্রয়োজন ছিল। ১৬২৪ সালের মে মাসে ডাচরা ৩০টি পরিবারকে Noten Eylant (বর্তমান গভর্নরস আইল্যান্ড) এ অবতরণ করিয়ে তাদের দাবি পূর্ণতা দেয়।
পরবর্তী কয়েক দশকে অদক্ষ ডিরেক্টর-জেনারেলদের দ্বারা নিউ নেদারল্যান্ড পরিচালিত হয়। উপনিবেশবাসীরা আদিবাসীদের আক্রমণের শিকার হন এবং ব্রিটিশ ও ডাচ সংঘাত উপনিবেশ ধ্বংসের পথে ঠেলে দেয়। কিন্তু ১৬৪৭ সালে পিটার স্টাইভসান্ট ডিরেক্টর-জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর সবকিছু বদলে যায়। উপনিবেশে এসে তিনি বলেছিলেন, “আমি তোমাদেরকে এক পিতার মতো শাসন করব।” তিনি উপনিবেশের সীমানা সম্প্রসারণ করেন। ১৬৫৫ সালে তিনি উত্তর ইউরোপের একমাত্র বসতি নিউ সুইডেন জয় করেন। ১৬৫০ সালে নিউ ইংল্যান্ডের সাথে সীমানা বিরোধ নিষ্পত্তি করেন। তিনি আদিবাসীদের হামলার বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা উন্নত করেন, এবং ১৬৪০ সালে যেখানে জনসংখ্যা ছিল ৫০০, তা ১৬৬৪ সালের মধ্যে বেড়ে দাঁড়ায় ৯,০০০-এ। কিন্তু ১৬৬৪ সালের আগস্ট মাসে চারটি ইংরেজ যুদ্ধজাহাজ নিউ ইয়র্ক বন্দরে এসে উপনিবেশ আত্মসমর্পণের দাবি করে। প্রথমে স্টাইভসান্ট প্রতিরোধ করার শপথ করেন, কিন্তু পর্যাপ্ত গোলাবারুদ ও বারুদের অভাবে এবং উপনিবেশবাসীদের দুর্বল সমর্থনে তিনি আত্মসমর্পণে বাধ্য হন। নিউ নেদারল্যান্ড পরবর্তীতে "নিউ ইয়র্ক" নামে পরিচিত হয়, ব্রিটিশ Duke of York-এর সম্মানে।
বাণিজ্যে প্রাধান্য অর্জনের উদ্দেশ্যে ইংরেজরা ১৬৬৪ সালে ডাচদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। তারা আমেরিকার আটলান্টিক উপকূলে ডাচ বন্দর নিউ অ্যামস্টারডাম দখল করে। রাজা দ্বিতীয় চার্লসের ভাই জেমস নিউ অ্যামস্টারডাম এবং এর আশেপাশের ডাচ অঞ্চলগুলোর চার্টার লাভ করেন।
১৬৭৩ সালে ডাচরা মিচিয়েল ডি রুইটার-এর নেতৃত্বে সাময়িকভাবে আবার নিউ নেদারল্যান্ড পুনর্দখল করে, এবং এইবার এর নাম দেয় New Orange। কিন্তু তৃতীয় অ্যাংলো-ডাচ যুদ্ধের শেষে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হলে, তারা অঞ্চলটি আবার ইংরেজদের কাছে ফিরিয়ে দেয়।
== অন্যান্য প্রারম্ভিক উপনিবেশে উপনিবেশ স্থাপনের ধরণ ==
ক্যারোলিনা অঞ্চলের নামকরণ করা হয়েছিল ব্রিটিশ রাজা প্রথম চার্লস-এর নামানুসারে, এবং এটি একটি মালিকানাভিত্তিক উপনিবেশ হিসেবে আটজন অভিজাত ব্যক্তিকে প্রদান করা হয়। এই মালিকগণ ক্যারোলিনাকে দুটি পৃথক উপনিবেশে ভাগ করে দেন – ''উত্তর ক্যারোলিনা'' এবং ''দক্ষিণ ক্যারোলিনা''।
চারটি উপনিবেশ ইতিমধ্যেই বিদ্যমান বৃহত্তর ভূখণ্ড থেকে বিভাজনের মাধ্যমে গঠিত হয়েছিল। নিউ হল্যান্ড যখন দখল করে নিউ ইয়র্কে রূপান্তরিত করা হয়, তখন রাজা জেমস ভূখণ্ডের একটি অংশ, বর্তমান ''নিউ জার্সি'', লর্ড বার্কলি ও স্যার জর্জ কার্টারেট-কে প্রদান করেন, এবং বর্তমান নিউ ইয়র্ক নিজের জন্য একটি মালিকানাভিত্তিক উপনিবেশ হিসেবে রাখেন। স্যার জর্জ এসেছিলেন জার্সি দ্বীপপুঞ্জ থেকে, এবং সেই অনুযায়ী নতুন উপনিবেশের নাম রাখা হয়। ভূখণ্ডের আরেকটি অংশ হয়ে ওঠে রাজমুকুট-নিয়ন্ত্রিত উপনিবেশ ''কানেকটিকাট''। এই উপনিবেশের নামকরণ করা হয় সেখানকার আদি ভারতীয় জনগোষ্ঠীর নামানুসারে। ১৭০৪ সালে পেনসিলভানিয়ার একটি কোণ, যেখানে কোয়াকাররা বসবাস করত না, বিচ্ছিন্ন হয়ে ''ডেলাওয়্যার'' উপনিবেশে পরিণত হয়। এর নামকরণ করা হয় টমাস ওয়েস্ট, তৃতীয় ব্যারন ডি লা ওয়্যার-এর নামে, যিনি ছিলেন রানি এলিজাবেথের আমলের একজন অভিজাত এবং খ্যাতিমান অভিযাত্রী।
''রোড আইল্যান্ড'' ছিল ধর্মীয় ও রাজনৈতিক স্বাধীনতার একটি অনন্য পরীক্ষা। রজার উইলিয়ামস যখন প্রচার করতে থাকেন যে যিশু খ্রিস্ট চেয়েছিলেন যাতে গির্জা শাসনক্ষমতা থেকে পৃথক থাকে, তখন ম্যাসাচুসেটস তাকে নির্বাসিত করে। চার্চ অব ইংল্যান্ড এবং পরবর্তীতে পিউরিটানদের বিরোধিতা করা এই ব্যক্তি হন প্রথম আমেরিকান ব্যাপটিস্ট। অন্যান্য উপনিবেশে নানা অভিযানের পর, তিনি নারাগানসেট ভারতীয়দের কাছ থেকে জমি কিনে একটি নতুন বসতি স্থাপন করেন। প্রভিডেন্স গঠিত হয়েছিল ধর্মীয় জটিলতা থেকে মুক্ত একটি উপনিবেশ এবং বিবেকবান মানুষের আশ্রয়স্থল হিসেবে। পরে তার অনুসরণে আসেন অ্যান হাচিনসন। তিনি বোস্টনের ধর্মীয় নেতাদের ক্ষুব্ধ করেছিলেন কারণ তিনি একজন নারী হয়েও প্রচার করতেন, এবং তিনি বিশ্বাস করতেন যে কার্যের সঙ্গে কৃপার সম্পর্ক সবসময় থাকে না, যা পিউরিটান মতবাদের বিরুদ্ধে। তিনিও ভারতীয়দের কাছ থেকে জমি কিনেছিলেন। সেখানে গঠিত হয় ''পোর্টসমাউথ'' নামের বসতি, এবং পরে একটি মতানৈক্যপূর্ণ সহোদর শহর ''নিউপোর্ট''। উপনিবেশটি আংশিকভাবে আকুইডনেক দ্বীপের উপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠে, যা পরবর্তীতে অজানা কারণে রোড আইল্যান্ড নামে পরিচিতি পায়, এবং পুরো উপনিবেশের নাম ওই স্থান থেকে নেওয়া হয়।
''জর্জিয়া'' ছিল আরেকটি মালিকানাভিত্তিক উপনিবেশ, যা রাজা প্রথম জর্জ-এর নামানুসারে নামকরণ করা হয়। ১৭৩২ সালে জেমস ওগলথর্প ও অন্যান্যদের কাছে এর চার্টার প্রদান করা হয়। এটি অন্যান্য উপনিবেশকে ফ্লোরিডার স্প্যানিশ ও লুইজিয়ানার ফরাসিদের আক্রমণ থেকে রক্ষার জন্য একটি "বাফার" উপনিবেশ হিসেবে পরিকল্পিত ছিল। এই কারণে, জর্জিয়া ছিল একমাত্র উপনিবেশ যেটি প্রতিষ্ঠার সময় থেকেই ব্রিটিশ রাজশক্তির আর্থিক সহায়তা পেয়েছিল। তৎকালীন ব্রিটেনে ঋণগ্রস্ত মানুষদের কারাগারে পাঠানো হতো। এই ধরনের অনেক বন্দিকে অতিরিক্ত ভিড়যুক্ত জেল থেকে মুক্ত করে জর্জিয়া উপনিবেশে পাঠানো হয়। তখন আমেরিকাকে ইতিমধ্যে সমৃদ্ধির ভূমি হিসেবে দেখা হচ্ছিল, এবং ওগলথর্প আশা করেছিলেন এই প্রাক্তন বন্দিরা দ্রুত সৎ ও ধনী হয়ে উঠবে। কিন্তু লন্ডনের জেলখানার অধিকাংশ বন্দিই নতুন অজানা বন্য অঞ্চলে টিকে থাকার জ্ঞান রাখত না।
== ব্রিটিশ উপনিবেশগুলোর একটি চিত্র ==
উপনিবেশগুলোকে প্রায়শই তিনটি ভাগে বিবেচনা করা হয়: '''নিউ ইংল্যান্ড''' (নিউ হ্যাম্পশায়ার, ম্যাসাচুসেটস, রোড আইল্যান্ড, কানেকটিকাট), '''দক্ষিণ উপনিবেশসমূহ''' (মেরিল্যান্ড, ভার্জিনিয়া, ক্যারোলিনাসমূহ এবং জর্জিয়া), এবং '''মধ্য উপনিবেশসমূহ''' (নিউ ইয়র্ক, নিউ জার্সি, পেনসিলভানিয়া এবং ডেলাওয়্যার)। কখনও কখনও ক্যারোলিনাসমূহ এবং জর্জিয়া-কে চেসাপিক উপনিবেশ থেকে আলাদাভাবে গণ্য করা হয়।
প্রত্যেকটি গোষ্ঠীর ভৌগোলিক ও অর্থনৈতিক বৈশিষ্ট্য ছিল। নিউ ইংল্যান্ডের পাথুরে মাটি কেবল ছোট খামারের পক্ষে উপযুক্ত ছিল, এবং কৃষিকাজের সুযোগ সীমিত ছিল। ফলে, এই অঞ্চলের লোকেরা অর্থ উপার্জনের জন্য মাছ ধরা, বনজ সম্পদ আহরণ, জাহাজ পরিবহন ও ক্ষুদ্র শিল্পের ওপর নির্ভর করত।<ref>{{cite book |last = Morison |first = Samuel Eliot |coauthors = |title = The Oxford History of the American People |publisher = Mentor |year = 1972 |location = New York City |pages =199–200 |url = |doi = |id = |isbn = 0451-62600-1 }}</ref>
দক্ষিণ উপনিবেশের উর্বর জমি ব্যক্তি মালিকদের দ্বারা দখল হয়, যারা বড় আকারের খামার তৈরি করেছিল যেখানে তামাক এবং পরবর্তীতে তুলা চাষ করা হতো। ক্যারোলিনাসমূহে চিনি, ধান ও নীল গাছও চাষ হতো। ১৭শ শতকে, এসব ফসল খাটিয়ে নেওয়া হতো চুক্তিভিত্তিক শ্রমিকদের দ্বারা—যারা আমেরিকায় আসার জন্য ভাড়ার বিনিময়ে নির্দিষ্ট বছর কাজ করত এবং পরবর্তীতে জমির অধিকার পেত। এদের অনেকেই চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই মারা যেত। ১৬৭৬ সালে চুক্তিভিত্তিক শ্রমিকদের একটি দল বেকনের বিদ্রোহে অংশগ্রহণ করে। এই বিদ্রোহের পর, বৃহৎ খামারগুলো আফ্রিকান ক্রীতদাসদের কাজে লাগাতে শুরু করে। যদিও অনেক চুক্তিভুক্ত শ্বেতাঙ্গ পরবর্তীতে মুক্ত হয়, তারা সামাজিকভাবে নিম্নবর্গেই থেকে যায়, যদিও তারা ক্রমাগত কঠোরতর দাসবিধির আওতায় পড়ত না—এই দাসবিধিগুলো দক্ষিণ উপনিবেশে দাসদের প্রায় সব স্বাধীনতা অস্বীকার করত। আমেরিকান বিপ্লবের সময়, প্রতি পাঁচজন উপনিবেশবাসীর মধ্যে একজন ছিলেন আফ্রিকান দাস। আর দক্ষিণে দাসশ্রমে উৎপন্ন পণ্যই ছিল মধ্য উপনিবেশ ও নিউ ইংল্যান্ডের শহরগুলোর ভোগ ও বাণিজ্যের প্রধান উপকরণ। খুব কম লোকই দাসভিত্তিক অর্থনীতিকে প্রশ্ন করত।
মধ্য উপনিবেশে ছিল মাঝারি আকারের খামার। এসব উপনিবেশে ছিল বিভিন্ন সংস্কৃতি ও বিশ্বাসের মানুষ। এই রাজ্যগুলোতেও চুক্তিভিত্তিক শ্রমিক এবং পরে দাস ব্যবহার করা হতো, কিন্তু দক্ষিণ উপনিবেশের মতো বিশালসংখ্যক দাসশ্রমের ব্যবহার সেখানে দেখা যেত না।
আরেকটি পার্থক্য ছিল ধর্মীয় চর্চায়। নিউ ইংল্যান্ড ছিল মূলত কনগ্রিগেশনালিস্ট, কিছুটা প্রেসবিটারিয়ান এবং নিজেকে ব্যাপটিস্ট দাবি করা ধর্মীয় অসামঞ্জস্যবাদীদের উপস্থিতি ছিল। তারা সবাই ছিলেন ব্রিটিশ গৃহযুদ্ধের পূর্ব ও সময়কার ধর্মীয় ভিন্নমতাবলম্বীদের উত্তরসূরি। দক্ষিণে প্রধানত অ্যাংলিকানরা ছিল, যারা ধর্মীয় ও ধর্মবহির্ভূত ঐতিহ্য ও ছুটির দিনগুলোকে মূল্য দিত। মধ্য উপনিবেশে ছিল হল্যান্ড, জার্মান ভূখণ্ড ও এমনকি বোহেমিয়ার ছোট ছোট জনগোষ্ঠী, যারা নিয়ে এসেছিল ক্যাথলিক ও প্রোটেস্টান্ট বিশ্বাসের বৈচিত্র্য।
যেসব শ্বেতাঙ্গকে ইংরেজ কর্তৃপক্ষ আমেরিকায় পাঠিয়েছিল, তাদের মধ্যে অনেক স্কটস-আইরিশ ছিল, যারা আলস্টার থেকে আগত। এরা ছিল ক্যালভিনবাদী প্রোটেস্টান্ট, যাদের অবস্থান ছিল আইরিশ ক্যাথলিক সংখ্যাগোষ্ঠীর মধ্যে, এবং তারা উভয় পক্ষ ও ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধেই অবস্থান করত। এই সংখ্যালঘু দল অ্যাপালাচিয়ান পর্বতমালা এবং পরে ওহাইও ও মিসিসিপি অঞ্চলের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে বসতি স্থাপন করেছিল। আমেরিকায় তারা ভূমি ও স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষায় সামান্য খরচে উপনিবেশের সীমান্তকে পশ্চিম দিকে প্রসারিত করেছিল, এবং পূর্বাঞ্চলের বসতিগুলো ও স্থানচ্যুত আদিবাসী গোষ্ঠীর মধ্যে একপ্রকার সশস্ত্র সীমানা রক্ষা করেছিল। উপনিবেশিক সীমান্তবাসীদের জীবন ছিল অত্যন্ত কষ্টকর—তারা নিজের হাতে ঘন বনাঞ্চলে শহর ও খামার গড়ে তুলত, দারিদ্র্য ও আদিবাসী আক্রমণের মুখোমুখি হয়ে।
প্রত্যেকটি উপনিবেশ স্থানীয় ধর্মবিশ্বাস ও সামর্থ্য অনুযায়ী শিক্ষাদান ও বিনোদনের নিজস্ব ক্ষেত্র গড়ে তোলে। দক্ষিণাঞ্চলের সংস্কৃতিতে সংগীতনাট্যে আগ্রহ দেখা যায়, যার কেন্দ্র ছিল চার্লসটন, সাউথ ক্যারোলিনা এবং উইলিয়ামসবার্গ, ভার্জিনিয়া। ১৭৫০ সালে নিউ ইয়র্ক সিটিতে শেক্সপিয়ারের "রিচার্ড তৃতীয়" নাটকের একটি পেশাদার পরিবেশনা হয়, যা ছিল আমেরিকায় শেক্সপিয়ারের প্রথম পেশাদার নাট্য পরিবেশনা। প্রচারক, বক্তা ও গায়করা উপনিবেশবাসীদের বিনোদন দিতেন।
তাদের মধ্যে পার্থক্যের চেয়ে মিলই ছিল বেশি। তিনটি অঞ্চলেই জনসংখ্যা প্রধানত ব্রিটিশ দ্বীপপুঞ্জ থেকে আগত। প্রত্যেকটির সড়কব্যবস্থা ছিল অত্যন্ত খারাপ, এবং আটলান্টিক মহাসাগরের মাধ্যমে তারা পরিবহণের সংযোগ রাখত। এরা সবাই আটলান্টিক অর্থনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিল। আটলান্টিক অঞ্চলের বণিকেরা জাহাজে করে আমেরিকা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ইউরোপ এবং আফ্রিকার মধ্যে দাস, তামাক, রাম, চিনি, সোনা, রূপা, মসলা, মাছ, কাঠ এবং প্রস্তুত পণ্য আদান-প্রদান করত।<ref>{{cite book|title=Cod: A Biography of the Fish That Changed the World|last=Kurlansky|first=Mark|publisher=New York: Walker|isbn=0-8027-1326-2}}</ref> নিউ ইয়র্ক, ফিলাডেলফিয়া, বোস্টন ও চার্লসটন ছিল সে সময়ের বৃহত্তম শহর এবং প্রধান বন্দর।<ref>{{cite web| url= http://www.census.gov/population/www/documentation/twps0027/tab02.txt| title= Earliest Population Figures for American Cities | author= U.S. Census Bureau|accessdate=2010-08-29}}</ref>
== প্রাথমিক প্রযুক্তি ==
প্রথম দফার উপনিবেশকারীরা খেটে খাওয়া শ্রমের মাধ্যমে তাদের খামার চাষ করতেন এবং কুমারশিল্প ও চামড়া ট্যানিংয়ের মতো ভূমিভিত্তিক হস্তশিল্প গড়ে তুলেছিলেন। পরবর্তী সময়ে জাহাজে করে গরু ও ঘোড়া আনা হলে খসড়া প্রাণী অর্থনীতির অংশ হয়ে ওঠে। চুক্তিভিত্তিক শ্রমিক এবং পরে আফ্রিকা থেকে অপহৃত দাসদের আমদানি করা হয়। তখনই বৃহৎ আকারের প্ল্যান্টেশন স্থাপিত হতে শুরু করে। অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষভাগে ছোট পরিসরে যন্ত্রনির্ভর উৎপাদনশিল্প দেখা দেয়। লোকজন কয়লা ও লৌহ আকরিক খনন শুরু করে। নিউ ইংল্যান্ড ওই আকরিক ব্যবহার করে নির্মাণ সরঞ্জাম ও ঘোড়ার নাল তৈরি করতে শুরু করে। দক্ষিণের তুলার ওপর নির্ভরশীল একটি নতুন বস্ত্রশিল্প গড়ে ওঠে। কাঠ বা কয়লা দ্বারা চালিত এবং শক্তিশালী ধাতুর চাহিদায় পরিচালিত গৃহস্থালির ধাতুকর্মে লোহা গলানোর নতুন কৌশল উদ্ভাবিত হয়। লোহার কাজ করা কারিগর ও টিনশিল্পীরা বড় বসতিগুলোর অংশ হয়ে ওঠে। উপনিবেশগুলো যান্ত্রিক ঘড়ি, আগ্নেয়াস্ত্র এবং ছাপাখানার জন্য সীসা টাইপ তৈরি করতে শুরু করে।
<gallery mode="packed" heights="150px">
File:The Francis Skerry Beaker, Jeremiah Dummer, American, c. 1670, silver - Fogg Art Museum, Harvard University - DSC01384.jpg|১৬৭০ সালের কাছাকাছি সময়ে আমেরিকায় জন্মগ্রহণকারী প্রথম রূপকার [[w:Jeremiah Dummer (silversmith)|জেরেমায়া ডামার]] নির্মিত একটি রূপার বীকার।
File:First Slave Auction 1655 Howard Pyle.jpg|১৬৫৫ সালে নিউ আমস্টারডামে অনুষ্ঠিত প্রথম দাস নিলামের চিত্র। (১৮৯৫ সালের চিত্রাঙ্কন)
File:WestFrontMansionMountVernon.jpg|মাউন্ট ভারন প্ল্যান্টেশন, নির্মিত ১৭৫৮ সালে। যখন জর্জ ওয়াশিংটন ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেন, তখনও তিনি তার নিজের দাসদের ধরে রেখেছিলেন, যারা নিজেরাও স্বাধীনতার অভাবে অসন্তুষ্ট ছিলেন।<ref>{{cite web |title=Resistance and Punishment |url=https://www.mountvernon.org/george-washington/slavery/resistance-and-punishment/ |website=George Washington's Mount Vernon |accessdate=19 September 2020 |language=en}}</ref>
File:Parkman Tavern, Concord MA.jpg|[[w:Parkman Tavern|পার্কম্যান ট্যাভার্ন]], কনকর্ড, ম্যাসাচুসেটস-এ ১৬৫৯ সালে নির্মিত।
</gallery>
== বাণিজ্যনৈতিক মতবাদ, সহনশীল অবহেলা ও ব্রিটিশ হস্তক্ষেপ ==
আমেরিকান উপনিবেশগুলো, যারা সমুদ্র দিয়ে বিচ্ছিন্ন একেবারে নতুন সমাজ ছিল, বিশ্বাস করত যে তাদের নিজেদের শাসনের অধিকার রয়েছে। এই বিশ্বাসকে উৎসাহিত করেছিল ব্রিটেনের গৌরবময় বিপ্লব এবং ১৬৮৯ সালের অধিকার বিল, যা পার্লামেন্টকে সর্বোচ্চ শাসনক্ষমতা দেয়। '''সহনশীল অবহেলার''' নামে পরিচিত অপেক্ষাকৃত শিথিল নিয়ন্ত্রণের এই নীতির অবসান ঘটে ব্রিটিশ নিয়ন্ত্রণ বৃদ্ধি পাওয়ার মাধ্যমে, যা বাণিজ্যনৈতিক মতবাদের প্রভাবে এবং লর্ডস অফ ট্রেড ও পরবর্তী ন্যাভিগেশন আইনগুলোর মাধ্যমে প্রতিফলিত হয়।
=== বাণিজ্যনৈতিক মতবাদ ===
পার্লামেন্ট, '''বাণিজ্যনৈতিক মতবাদ''' নামক অর্থনৈতিক নীতির অনুসরণে, উপনিবেশগুলোর বাণিজ্যের ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করে। এই মতবাদের মূল ধারণা ছিল—একটি জাতির অর্থনৈতিক শক্তি নির্ভর করে তার রপ্তানি পণ্যের মূল্যের ওপর। একটি দেশ তার উপনিবেশগুলোর মাধ্যমে কাঁচামালের পরিবর্তে প্রস্তুত পণ্য উৎপাদন করতে পারে। এই পণ্যগুলো অন্যান্য দেশের সঙ্গে বিনিময় করে উপনিবেশকারী দেশের শক্তি বাড়ানো সম্ভব। এই নীতির প্রবর্তক ছিলেন ফরাসি অর্থনীতিবিদ জঁ-বাতিস্ত কোলবে। এটি ব্রিটেনের জন্য অত্যন্ত উপযোগী মনে করা হয়। স্পেনের অর্থনৈতিক ভিত্তি ছিল আমেরিকান সোনা, আর ফ্রান্সের ছিল আমেরিকান পশম। ইংল্যান্ডের কাছে সোনা বা পশম ছিল না, তবে তাদের ছিল আমেরিকান তুলা, মলাসেস (আখের গুড়), তামাক, এবং উন্নত মানের জাহাজ। ১৭০০ শতকের মধ্যভাগ পর্যন্ত উপনিবেশগুলো “সহনশীল অবহেলা”-এর দীর্ঘ সময় উপভোগ করেছিল, যেখানে ব্রিটিশরা প্রায়ই উপনিবেশগুলিকে নিজেদের মতো করে পরিচালনা করতে দিত। এখন সেই সময় শেষ হয়।
=== লর্ডস অফ ট্রেড ===
বাণিজ্যনৈতিক নীতিগুলো কার্যকর করার প্রয়াসে রাজা দ্বিতীয় চার্লস প্রিভি কাউন্সিলের একটি নতুন কমিটি হিসেবে '''লর্ডস অফ ট্রেড''' গঠন করেন। এই লর্ডরা উপনিবেশগুলোর শাসন ইংরেজদের পক্ষে উপযোগী করার চেষ্টা করেন, উপনিবেশবাসীদের পক্ষে নয়।
লর্ডস অফ ট্রেড চেয়েছিল সমস্ত আমেরিকান উপনিবেশকে রাজকীয় উপনিবেশে রূপান্তর করতে, যাতে মুকুটের শক্তি বাড়ানো যায়। রাজা দ্বিতীয় জেমস-এর শাসনকালে (দ্বিতীয় চার্লসের উত্তরসূরি), নিউ ইয়র্ক, নিউ জার্সি এবং পুরিটান উপনিবেশগুলোকে একত্র করে ১৬৮৭ সালে “ডমিনিয়ন অব নিউ ইংল্যান্ড” গঠন করা হয়।
তবে এই ডমিনিয়ন অল্পদিন টিকে ছিল। দ্বিতীয় জেমস ছিলেন ক্যাথলিক, আর ব্রিটিশ প্রোটেস্টান্টরা তাকে হুমকি মনে করত। গৌরবময় বিপ্লবে (১৬৮৮) তাকে সিংহাসনচ্যুত করা হয় (পার্লামেন্ট তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে সিংহাসন ত্যাগ করানো হয়েছে বলে ধরে নেয়)। ১৬৮৯ সালে জেমসের কন্যা মেরি দ্বিতীয় ও তার স্বামী উইলিয়াম তৃতীয় যুগ্মভাবে সিংহাসনে বসেন। তবে প্রকৃত ক্ষমতা ছিল ব্রিটিশ পার্লামেন্টের হাতে। ডমিনিয়ন অব নিউ ইংল্যান্ড বিলুপ্ত হয়, পৃথক উপনিবেশগুলো পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয় এবং লর্ডস অফ ট্রেড বিলুপ্ত হয় (এর পরিবর্তে কেবল উপদেষ্টা ভিত্তিক একটি বোর্ড অফ ট্রেড গঠিত হয়)।
=== ন্যাভিগেশন আইনসমূহ ===
১৬৬০ সাল থেকে ইংল্যান্ডের পার্লামেন্ট '''ন্যাভিগেশন আইনসমূহ''' প্রণয়ন করতে থাকে, যাতে তারা তাদের উপনিবেশ থেকে বেশি লাভ তুলতে পারে। এসব আইনের অধীনে নির্ধারিত হয় যে যেকোনো উপনিবেশিক আমদানি-রপ্তানি কেবলমাত্র ইংল্যান্ডে নিবন্ধিত জাহাজে পরিবাহিত হতে পারবে—মানে শুধুমাত্র ইংল্যান্ডই শিপিং-এর ক্ষমতা ও এর থেকে আসা মুনাফা ভোগ করবে। তামাক ও চিনি রপ্তানি শুধুমাত্র ইংল্যান্ডে করা যাবে, অন্য কোনো দেশে নয়। (তখন তামাক ও চিনি দুটোই ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হতো—চিনির দ্বারা অ্যালকোহল তৈরি করা হতো যা ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হতো)। এবং উপনিবেশগুলো কোনো বিদেশি নির্মিত পণ্য আমদানি করতে পারত না, যদি না সেগুলো প্রথমে ইংল্যান্ডে নিয়ে যাওয়া হতো, সেখানে শুল্ক পরিশোধ করা হতো, তারপর সেগুলো উপনিবেশে পাঠানো হতো।
১৭৩০-এর দশকে, সুগার অ্যাক্ট অনুযায়ী উপনিবেশগুলোতে আমদানি হওয়া প্রতি গ্যালন চিনি বা মলাসেসের ওপর ছয় পেন্স কর আরোপ করা হয়। ১৭৫০ সালের মধ্যে পার্লামেন্ট আরও অনেক পণ্যের ওপর নিষেধাজ্ঞা, নিয়ন্ত্রণ বা কর আরোপ করতে শুরু করে। তারা উপনিবেশে সমস্ত ধরনের উৎপাদন ঠেকাতে চায়। এই নীতিগুলো উপনিবেশবাসীদের মধ্যে প্রবল ক্ষোভ সৃষ্টি করে, যদিও ইউরোপের অন্যান্য রাজতন্ত্রের প্রজাদের তুলনায় তাদের করভার তুলনামূলকভাবে কম ছিল।
উপনিবেশবাসীরা ন্যাভিগেশন আইনগুলোকে ঘৃণা করত, কারণ তারা বিশ্বাস করত যে নিজেরা বাণিজ্য করতে পারলে আরও সমৃদ্ধ ও ধনী হতে পারত। তারা আরও বিশ্বাস করত যে কিছু গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ ইংল্যান্ডে পাওয়া যায় না।
== ১৭০০-এর দশকে আদিবাসীরা ==
গ্রেট প্লেইন্স-এর আদিবাসীরা:
আজকের দিনে, যেই অঞ্চল জুড়ে গ্রেট প্লেইন্স-এর সমস্ত আদিবাসীরা বাস করতেন, তা রকি পর্বতমালা থেকে মিসিসিপি নদী পর্যন্ত বিস্তৃত। ১৭০০-এর দশকে, প্রায় ৩০টি গোত্র এই গ্রেট প্লেইন্স অঞ্চলে বসবাস করত। এই গোত্রগুলো মূলত খাদ্য এবং দৈনন্দিন অন্যান্য প্রয়োজনীয়তার জন্য মহিষের ওপর নির্ভর করত। আদিবাসীরা—বিশেষ করে নারীরা—তাদের পোশাক মহিষের চামড়া দিয়ে তৈরি করতেন, তবে তারা হরিণের চামড়াও ব্যবহার করতেন। নারীরা মৃত হরিণ বা মহিষের চামড়া জলে ভিজিয়ে রাখতেন এবং এরপর তার লোম চেঁছে ফেলতেন।<ref name="englar">Englar, Mary. The Great Plains Indians: Daily Life in the 1700s. Mankato, MN: Capstone, 2006. Print.</ref>
তদ্ব্যতীত, আদিবাসী গোত্রগুলো একে অপরের সঙ্গে বাণিজ্য করত। একজন ব্যক্তির কাছে যত বেশি ঘোড়া থাকত, তাকে তত বেশি ধনী বলে মনে করা হতো; আদিবাসীরা তাদের ঘোড়ার বিনিময়ে খাদ্য, যন্ত্রপাতি, অস্ত্র (যেমন বন্দুক), এবং পশুচর্ম বিনিময় করত। যেহেতু বিভিন্ন গোত্রের ভাষা একে অপরের থেকে ভিন্ন ছিল, তাই তারা পারস্পরিক বাণিজ্যের সময় সাঙ্কেতিক ভাষা ব্যবহার করত।<ref name="englar" />
== ফিলাডেলফিয়া নির্বাচনী দাঙ্গা ==
১৭৪২ সালে নির্বাচনের দিনে ফিলাডেলফিয়ায় একটি দাঙ্গা শুরু হয়, যার কারণ ছিল অ্যাঙ্গলিকান জনগণের কোয়াকার সংখ্যাগোষ্ঠীর সঙ্গে মতবিরোধ। এই দাঙ্গার মূল কারণ ছিল অ্যাঙ্গলিকান ও কোয়াকার জনগণের মধ্যে ক্ষমতার দ্বন্দ্ব। কোয়াকাররা ফিলাডেলফিয়ায় দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক আধিপত্য বজায় রেখেছিল। জার্মান জনগণ কোয়াকারদের ভোটকে সমর্থন করেছিল, কারণ কোয়াকার অহিংস নীতির ফলে কর বাড়ার সম্ভাবনা এবং শেষ পর্যন্ত বাধ্যতামূলক সৈন্যভর্তির আশঙ্কা কমে যেত। নির্বাচনের দিনে অ্যাঙ্গলিকান ও নাবিকেরা কোয়াকার এবং জার্মানদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। কোয়াকাররা কোর্টহাউসে আশ্রয় নিতে সক্ষম হয় এবং নির্বাচন সম্পন্ন করে। অ্যাঙ্গলিকান দল নির্বাচনে পরাজিত হয় এবং দাঙ্গার পর ৫৪ জন নাবিককে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়।
== শিক্ষা ==
১৭০০-এর দশকে উপনিবেশগুলোর তিনটি অঞ্চল ভিন্ন ভিন্ন আগ্রহসম্পন্ন জনগোষ্ঠী নিয়ে গঠিত ছিল, ফলে তারা তাদের শিশুদের জন্য ভিন্নধর্মী শিক্ষা প্রদান করত। যদিও কিছু সাধারণ বৈশিষ্ট্য ছিল — তিন অঞ্চলের যে কোনো ধনী পরিবার তাদের পুত্রকে ইউরোপে পড়তে পাঠাতে পারত — তবুও বিভিন্ন উপনিবেশে শিক্ষাদানের ধরণে পার্থক্য দেখা যেত।
নিউ ইংল্যান্ডে শিক্ষার উদ্দেশ্য ছিল সামাজিক ও ধর্মীয় উভয়ই। একজন সুশীল নাগরিককে অবশ্যই বাইবেল জানতে হতো। ১৬৪৭ সালের ম্যাসাচুসেটস জেনারেল স্কুল আইন বলেছিল, যদি কোনো অঞ্চলে ৫০টির বেশি পরিবার বসবাস করে, তবে একজন স্কুলশিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে। এই আইনের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছিল: "সেই পুরাতন প্রতারক, শয়তানের অন্যতম প্রধান কৌশল হলো মানুষকে বাইবেলের জ্ঞান থেকে দূরে রাখা, যেমন পূর্বকালে অজানা ভাষায় বাইবেল রেখে আর বর্তমানে ভাষা ব্যবহারে নিরুৎসাহিত করে; যাতে মূল বক্তব্য বিভিন্ন মিথ্যা ব্যাখ্যা ও সান্ত-সদৃশ প্রতারকদের দ্বারা বিকৃত হয়; এবং যেন শিক্ষা আমাদের পূর্বপুরুষদের কবরে চাপা না পড়ে, গির্জা ও রাষ্ট্রে তা টিকে থাকে, প্রভুর সহায়তায় আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।" এটি ছিল পিলগ্রিমদের নীতিমালা, যা তারা স্বৈরাচারীদের চাপিয়ে দেওয়া অজ্ঞতার বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠা করেছিল। ছেলে ও মেয়েরা প্রায়শই তাদের বাবা-মায়ের কাছেই বাইবেল পড়তে শিখত, সম্ভবত একটি "হর্নবুক" ব্যবহার করে — এক ধরণের বর্ণমালা ও শব্দতালিকা পাতা, যেটি শিং দিয়ে মোড়ানো থাকত।
শুধু বাইবেল পড়তে পারলেই চলবে না, একজন খ্রিস্টানকে অবশ্যই তার সমাজে শাসন করতে পারতে হবে। (''তার'' সমাজে: কারণ সরকার পরিচালনা ছিল ধার্মিক, সম্পত্তিধারী পুরুষদের অধিকার, নারীদের নয়।) এই উদ্দেশ্যে তরুণদের ক্লাসিক্যাল শিক্ষা — মূলত লাতিনভিত্তিক — অর্জন করতে হতো। ১৬৪৭ সালের আইন ছিল আমেরিকান গ্রামার স্কুলের সূচনা, যা শুরুতে লাতিন পড়াত, পরে এতে নেভিগেশন, প্রকৌশল, হিসাবরক্ষণ, ও বিদেশি ভাষার মতো ব্যবহারিক বিষয় যুক্ত হয়।<ref>A People and a Nation, Eighth Edition</ref> উপনিবেশিক যুগে খোলা বেশিরভাগ স্কুল ছিল ব্যক্তিমালিকানাধীন।<ref>http://www.excite.com/education/education/history-of-american-education</ref> তবে এর আগে ছিল প্রথম সরকার-সমর্থিত বিদ্যালয়, ১৬৩৫ সালে প্রতিষ্ঠিত বোস্টন লাতিন স্কুল। এর পাঠ্যক্রম ছিল কঠোর, ফলে ছাত্রসংখ্যা ছিল কম। হার্ভার্ড ছিল আমেরিকার প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়, ১৬৩৬ সালে প্রতিষ্ঠিত, মূলত প্রোটেস্টান্ট ধর্মযাজকদের প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্যে। ক্লাসিক্যাল পাঠ্যক্রম থেকে স্নাতকের সংখ্যা খুবই কম ছিল, ফলে উপস্থিতিও ছিল কম। কেউ কেউ সরাসরি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতো, কেউ ১৪ বা ১৫ বছর বয়সেই হার্ভার্ডে ঢুকত। কটন ম্যাথার ১৫ বছর বয়সে হার্ভার্ড থেকে স্নাতক হয়েছিলেন, যা ছিল তার অস্বাভাবিক প্রতিভার কারণে ব্যতিক্রম। ব্যক্তিগত স্কুলে ছেলে ও মেয়েরা হাতের লেখা, মৌলিক গণিত, ইংরেজি পড়া ও লেখা শিখত। এরপর তারা বিভিন্ন পেশায় শিক্ষানবিশ হিসেবে প্রবেশ করত। যারা গৃহপরিচারিকা হতো না, তারা গৃহস্থালি কাজের জন্য প্রশিক্ষিত হতো — সূচিশিল্প, রান্না, এবং কয়েকদিন ধরে কাপড় ধোয়ার মতো কাজ শেখানো হতো।
নিউ ইংল্যান্ডের মতো, মধ্য উপনিবেশগুলোতেও বেসরকারি স্কুল ছিল, যেখানে পড়া ও লেখা শেখানো হতো। তবে মৌলিক শিক্ষা সেখানে আরও দুর্লভ ছিল। পশ্চিমে যত দূরে কেউ বাস করত, স্কুলে যাওয়া কিংবা পড়তে ও লিখতে শেখার সম্ভাবনা ততই কম হতো। জাতিগত ও ধর্মীয় উপগোষ্ঠীগুলো নিজেদের শিশুদের জন্য নিজেদের নিয়মে বেসরকারি স্কুল চালাত। কোনো উপনিবেশেই উচ্চশিক্ষা নিশ্চিত ছিল না। মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলো বড় শহর — যেমন বোস্টন, নিউ ইয়র্ক, ফিলাডেলফিয়া ও চার্লসটন — ছাড়া খুবই বিরল ছিল।<ref>A People and a Nation Eighth Edition</ref>
চেসাপিক অঞ্চলের অভিজ্ঞতা ছিল একেবারেই ভিন্ন। শিশুদের পড়তে ও লিখতে পারার পূর্বশর্ত ছিল, তাদের বাবা-মাও যদি তা পারেন।<ref>A People and a Nation Eighth Edition</ref> দক্ষিণে বিপ্লবী যুগ পর্যন্ত খুব কম সংখ্যক স্কুল ছিল, যেকোনো ধরণেরই হোক না কেন। ধনী পরিবারের শিশুরা ব্যক্তিগত শিক্ষকের অধীনে পড়াশোনা করত। ধনী মেয়েরা 'নারীসুলভ শিল্পকলায়' শিক্ষিত হতো, তবে তাদের পাঠ্যক্রম ভাইদের মতো হতো না। মার্থা ওয়াশিংটনের নাতনি এলিজা কাস্টিস তার সৎপিতার বিদ্রূপের কথা বলেছিলেন, যখন তিনি বলেছিলেন "[আমার] দুঃখ লেগেছিল, তারা আমাকে গ্রিক ও লাতিন শেখাতে চায়নি, কারণ আমি মেয়ে — তারা হাসল এবং বলল, মেয়েদের এসব জানার দরকার নেই, সেলাই, লেখা, অঙ্ক এবং সংগীতই যথেষ্ট।"<ref>Edmund S. Morgan. Virginians At Home: Family Life in the Eighteenth Century. Charlottesville, VA: Dominion Books, 1962(1952). P. 17</ref> মধ্যবিত্ত শিশুরা বাবা-মায়ের কাছেই পড়া শিখত, আর গরিব শিশুদের অনেকেই, বিশেষ করে কৃষ্ণাঙ্গ শিশুরা, কোনো শিক্ষাই পেত না। দক্ষিণে স্বাক্ষরতার হার উত্তরাঞ্চলের তুলনায় কম ছিল, যা উনবিংশ শতাব্দী পর্যন্ত বজায় ছিল।<ref>A People and a Nation, Eighth Edition</ref>
[[File:Harvard Old College.jpg|thumb|১৬৩৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হার্ভার্ড যুক্তরাষ্ট্রের সর্বপ্রথম উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান।]]
১৬৯৩ সালে কলেজ অব উইলিয়াম অ্যান্ড ম্যারি প্রতিষ্ঠিত হয়, যা ছিল ভার্জিনিয়ার প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়। ১৮ শতক গড়িয়ে এলে এটি ধর্মতত্ত্বের বদলে আইনশাস্ত্রে বিশেষীকরণ শুরু করে।<ref>Morgan, p. 27.</ref> ১৭০১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ''Collegiate College''। ১৭১৮ সালে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির ওয়েলশ গভর্নর এলিহু ইয়েলের অনুদানে এর নাম হয় ইয়েল কলেজ। পরে আরও কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় গঠিত হয়, যার মধ্যে ১৭৪৭ সালের প্রিন্সটন অন্যতম। ১৮ শতকে কলেজের পাঠ্যক্রমে জ্যোতির্বিজ্ঞান, পদার্থবিজ্ঞান, আধুনিক ইতিহাস ও রাজনীতি বিষয়গুলো গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। কিছু কলেজ ১৮ শতকে নেটিভ আমেরিকান ছাত্রদের ভর্তি করার চেষ্টা করলেও আফ্রিকান-আমেরিকানদের ভর্তি করা হতো না।<ref>A People and a Nation, Eighth Edition</ref>
১৬৪০ সালে ''The whole Booke of Psalms Faithfully Translated into English Metre'', যা সাধারণভাবে বেই পসাল্ম বুক নামে পরিচিত, ক্যামব্রিজ, ম্যাসাচুসেটসে মুদ্রিত হয়। এটি ছিল নতুন পৃথিবীতে (নর্থ আমেরিকায়) লেখা প্রথম বই। এই বিখ্যাত ও প্রভাবশালী সঙ্গীতবইটির পর নিউ ইংল্যান্ডে একটি পূর্ণাঙ্গ প্রকাশনা শিল্প গড়ে ওঠে। ১৬৮৭ সালের কিছু পর ''New England Primer'' প্রকাশিত হয়, যা শিশুদের পড়া ও বানানের সহায়ক হিসেবে ব্যবহৃত হতো।
একটি বিকল্প শিক্ষাপদ্ধতি দেখা যায় বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিনের প্রতিষ্ঠিত আমেরিকান অ্যাকাডেমিতে, যা ১৭৫১ সালে ফিলাডেলফিয়ায় গঠিত হয়। এই প্রতিষ্ঠানটি আধুনিক আমেরিকান হাই স্কুলের কাছাকাছি একটি মডেল ছিল, যেখানে পেশাগত শিক্ষা দেওয়া হতো। এ ধরণের স্কুল পরে ক্লাসিক্যাল সেকেন্ডারি স্কুলের সংখ্যাকে ছাড়িয়ে যায়। তবে ফ্রাঙ্কলিনের অ্যাকাডেমিও ছিল ব্যক্তিমালিকানাধীন, ফলে এ শিক্ষালাভ সম্ভব ছিল কেবল অর্থবিত্তশালীদের জন্য।
এই সময়কালে উপনিবেশবাসীরা নেটিভ আমেরিকানদের খ্রিস্টধর্মে ধর্মান্তরিত করার চেষ্টা চালায়।<ref>http://www.encyclopedia.com/doc/1G2-2536600517.html</ref>
== পুনঃমূল্যায়ন প্রশ্নাবলী ==
১. নিচের উপনিবেশগুলোর মধ্যে একটি নির্বাচন করুন: নিউ ইয়র্ক, ভার্জিনিয়া, ম্যাসাচুসেটস, জর্জিয়া। এটি উপনিবেশের কোন তিনটি অঞ্চলের মধ্যে অবস্থিত? কেন এবং কীভাবে এটি শুরুতে উপনিবেশিকৃত হয়েছিল? এর অভিবাসী ও তাদের অনুসৃত ধর্ম কিভাবে ওই অঞ্চলের ওপর প্রভাব ফেলেছিল?
২. ব্রিটিশরা কেন উপনিবেশগুলোর সঙ্গে হস্তক্ষেপ করেছিল?
==উৎসসমূহ==
{{reflist}} {{chapnav|Exploration|Road to Revolution}} {{status|100%}} {{BookCat}}
gj0b57479c87253q5slnm31w26wicu2
84815
84814
2025-06-18T09:05:22Z
Mehedi Abedin
7113
84815
wikitext
text/x-wiki
== উপনিবেশ স্থাপনের ধরণ ==
রেনেসাঁ যুগে গ্রেট ব্রিটেনের দ্বীপগুলোতে ব্যাপক পরিবর্তন আসে, যার ফলে ইংল্যান্ডের চার্চ প্রতিষ্ঠিত হয়, ব্রিটিশ গৃহযুদ্ধ সংঘটিত হয় এবং অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও আইনগত ব্যবস্থার সম্পূর্ণ রূপান্তর ঘটে। তবুও এই সময়কালে, অন্যান্য জাতি এবং আমেরিকার নিজস্ব আদিবাসীদের চাপ সত্ত্বেও, ইংরেজদের একটি বৈচিত্র্যময় উপনিবেশ গড়ে ওঠে এবং সফল হয়।
এই নতুন উপনিবেশগুলো তিনটি ভিন্ন উপায়ে অর্থায়িত হয়েছিল। একটি পদ্ধতিতে, '''কর্পোরেট উপনিবেশ''' যৌথ স্টক কোম্পানির মাধ্যমে স্থাপিত হতো। যৌথ স্টক কোম্পানি এমন একটি প্রকল্প যেখানে লোকেরা একটি নতুন উপনিবেশ গড়ে তুলতে শেয়ার কিনে বিনিয়োগ করত। উপনিবেশটির সফলতার ওপর ভিত্তি করে, প্রতিটি বিনিয়োগকারী তার ক্রয়কৃত শেয়ারের অনুপাতে লাভ পেত। এই বিনিয়োগ সম্পূর্ণভাবে নিজে উপনিবেশ শুরু করার চেয়ে কম ঝুঁকিপূর্ণ ছিল এবং প্রতিটি বিনিয়োগকারী উপনিবেশ পরিচালনায় প্রভাব ফেলতে পারত। তারা প্রায়ই নিজেদের জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করত। (অন্য মহাদেশে একটি যৌথ স্টক কোম্পানির উদাহরণ হলো ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি)। ভার্জিনিয়ায় এইভাবে বসতি স্থাপন করা হয়েছিল।
'''প্রোপ্রাইটারি উপনিবেশ''' ছিল কোনো ব্যক্তি বা পরিবারের মালিকানাধীন, যারা তাদের ইচ্ছামতো আইন প্রণয়ন ও কর্মকর্তাদের নিয়োগ করত। এই মালিকানার কারণেই উন্নয়ন সরাসরি সংঘটিত হতো। চার্লস দ্বিতীয় উইলিয়াম পেনকে বর্তমান পেনসিলভেনিয়া অঞ্চলটি প্রদান করেন। পেনের নতুন উপনিবেশ কোয়াকারদের আশ্রয় দেয়, যারা ছিল সহস্রাব্দবাদী প্রোটেস্ট্যান্টদের একটি দল হিসেবে ইংল্যান্ডের চার্চের বিরোধিতা করত। (কোয়াকারদের মন্ত্রী থাকত না এবং তারা ধর্মীয় বা নাগরিক বৈষম্যকে মানত না, যা তাদের শ্রেণিভিত্তিক সমাজে বিপজ্জনক উপাদান করে তুলেছিল)। পেন ছিলেন একজন স্পষ্টবাদী কোয়াকার এবং তিনি কোয়াকার বিশ্বাস রক্ষায় অনেক প্রচারপত্র লিখেছিলেন। তিনি অন্যান্য দেশ ও প্রোটেস্ট্যান্ট সংখ্যালঘুদের—এমনকি কিছু ক্যাথলিককেও—উপনিবেশে আসতে আমন্ত্রণ জানান।
সবশেষে, '''রাজকীয় উপনিবেশ''' ছিল রাজা কর্তৃক সরাসরি নিয়ন্ত্রিত এবং সেখানে রাজার নিযুক্ত রাজ্যপাল থাকত। তবে রেজাল্টিং সেটেলমেন্ট বা গঠিত উপনিবেশগুলো সবসময় ইংল্যান্ডের অনুরূপ ছিল না। উদাহরণস্বরূপ, অষ্টম হেনরির শাসনকালে ইংল্যান্ড ক্যাথলিক ধর্ম থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছিল এবং পুরাতন বিশ্বাসকে শুধু ধর্মীয় ভ্রান্তি নয়, বরং বিদেশি আধিপত্যের পূর্বাভাস হিসেবে দেখা হতো। তবুও, মেরিল্যান্ডে ক্যাথলিকদের প্রতি সহনশীলতা ব্রিটিশ মুকুটের পক্ষ থেকে একটি অনুগ্রহ হিসেবে দেওয়া হয়েছিল। ১৬৩৪ সালে লর্ড বাল্টিমোর ইংল্যান্ডের জর্জ ক্যালভার্টকে ভার্জিনিয়ার উত্তরে ও পেনসিলভেনিয়ার দক্ষিণে একটি সরু ভূমি অঞ্চলে একটি ক্যাথলিক উপনিবেশ স্থাপন করার জন্য নিয়োগ দেন রাজকীয় সনদের মাধ্যমে। পনেরো বছর পরে, ১৬৪৯ সালে, তিনি সহনশীলতা আইনে স্বাক্ষর করেন, যা উপনিবেশবাসীদের জন্য ধর্মীয় স্বাধীনতা ঘোষণা করে। মূল সনদ সত্ত্বেও পরে প্রোটেস্ট্যান্টরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ ধর্মে পরিণত হয়। লর্ড বাল্টিমোরের মৃত্যুর কয়েক বছর পর, মেরিল্যান্ডের একজন বিশিষ্ট জমিদারের স্ত্রী মার্গারেট ব্রেন্ট উপনিবেশের গভর্নর হিসেবে তার উইল কার্যকর করেন। তিনি উপনিবেশগুলোতে লিঙ্গভিত্তিক সামাজিক নিয়ম ভেঙে দেন, কারণ তিনি ছিলেন ইংরেজ উপনিবেশে প্রথম অ-রাজপরিবারভুক্ত নারী শাসক।
== ম্যাসাচুসেটস বে উপনিবেশ ==
''ম্যাসাচুসেটস বে উপনিবেশ'' আরেকটি কর্পোরেট উপনিবেশ, যা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ইংল্যান্ড থেকে দূরে এমন একটি জায়গা হিসেবে, যেখানে ধর্মীয় ভিন্নমতাবলম্বীরা বসবাস করতে পারতো। পিউরিটানরা ছিল কট্টর প্রোটেস্টান্টদের একটি দল, যারা বাইবেলের মূল ধর্মে ফিরে যাওয়ার দাবি করত। তারা ইংল্যান্ডের রাষ্ট্রীয় চার্চের বিরোধিতা করায় নির্যাতনের শিকার হয় এবং অনেকেই প্রাণ হারায়। ১৬২০ সালে, ৪১ জন পিউরিটান (যারা নিজেদের "তীর্থযাত্রী" বা পিলগ্রিমস বলত) নতুন পৃথিবীর উদ্দেশ্যে যাত্রা করে।
পিলগ্রিমদের সমসাময়িক বিবরণ অনুযায়ী, তাদের মূল পরিকল্পনা ছিল বর্তমানে নিউ ইয়র্কের লং আইল্যান্ডের নিকটে হাডসন নদীর অঞ্চলে উপনিবেশ স্থাপন। কেপ কড দর্শনের পর তারা দক্ষিণ দিকে হাডসন নদীর দিকে যেতে চাইলেও, বিপজ্জনক সমুদ্রের সম্মুখীন হয়ে প্রায় জাহাজডুবির শিকার হয়। ফলে তারা আরেকবার দক্ষিণে যাওয়ার ঝুঁকি না নিয়ে কেপ কডেই ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নেয়। কয়েক সপ্তাহ ধরে উপযুক্ত উপনিবেশ স্থাপনের স্থান খোঁজার পর, মেফ্লাওয়ার জাহাজের যাত্রীরা অবশেষে বর্তমান ম্যাসাচুসেটসে ১৬২০ সালের ২৬ ডিসেম্বর প্লাইমাউথ-এ নোঙর করে। তখনকার সেখানে বসবাসকারী একটি আদিবাসী গোত্রের নামানুসারে তারা এটি "ম্যাসাচুসেটস" নামে অভিহিত করে।
[[File:The Mayflower Compact 1620 cph.3g07155.jpg|thumb|মেফ্লাওয়ারের যাত্রীরা "মেফ্লাওয়ার কম্প্যাক্ট"-এ স্বাক্ষর করছে]]
জন কারভারের মৃত্যুর পর গভর্নর দ্বারা নির্বাচিত উইলিয়াম ব্র্যাডফোর্ড একটি জার্নাল লেখেন, যা উপনিবেশবাসীদের দুঃখ-কষ্ট, আদিবাসীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ এবং পরবর্তীতে উপনিবেশের সাফল্য বোঝার জন্য গুরুত্বপূর্ণ দলিল হিসেবে বিবেচিত। পিলগ্রিমরা নিজেদের শাসনের জন্য মেফ্লাওয়ার কম্প্যাক্ট নামক এক চুক্তির মাধ্যমে একমত হয়, যা মেফ্লাওয়ার জাহাজেই স্বাক্ষরিত হয়। দুই বছর পর, তারা কমপ্যাক্টের অধীনে শুরু করা যৌথ মালিকানাভিত্তিক ব্যবস্থাকে ত্যাগ করে এবং ১৬২৩ সালে প্রতিটি পরিবারকে স্বতন্ত্র জমি ভাগ করে দেয়।
দশ বছর পরে, যৌথ স্টকভিত্তিক ম্যাসাচুসেটস বে কোম্পানি ইংল্যান্ডের রাজা চার্লসের কাছ থেকে একটি সনদ লাভ করে। প্লাইমাউথ উপনিবেশ পরে ম্যাসাচুসেটস বে উপনিবেশের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায়, তবে ১৬৯১ সাল পর্যন্ত এটি আলাদা অবস্থায় ছিল।
পরবর্তীতে, আরও বড় একটি পিলগ্রিম দল নতুন ম্যাসাচুসেটস বে উপনিবেশে অভিবাসন করে। যদিও এটি ইংল্যান্ডের রাষ্ট্রীয় চার্চের অনুসারী ছিল, উপনিবেশটি ধর্মীয় স্বাধীনতা দেয়নি। শুধুমাত্র (পুরুষ) পিউরিটানদের ভোটাধিকার ছিল, সহনশীলতা আইনের মাধ্যমে উপনিবেশে পিউরিটান ধর্মকে সরকারি ধর্ম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা হয় এবং যারা তাদের গির্জায় যেত না, তাদের শাস্তি দেওয়া হতো।
== নিউ ইয়র্ক ==
অন্যান্য দেশসমূহও অনুসন্ধান তহবিল জোগাতে যৌথ-স্টক কোম্পানি ব্যবহার করেছিল। ১৬০৯ সালে, ডাচ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি উত্তর আমেরিকার পূর্ব উপকূলে, ৩৮ থেকে ৪৫ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ পর্যন্ত বিস্তৃত একটি ভূখণ্ড আবিষ্কার করে। এটি ছিল Halve Maen ("হাফ মুন") নামক একটি ইয়টের অভিযান, যার নেতৃত্বে ছিলেন হেনরি হাডসন। আদ্রিয়ান ব্লক এবং হেনড্রিক ক্রিস্টিয়ানস্ ১৬১১ থেকে ১৬১৪ সাল পর্যন্ত ঐ অঞ্চলের অনুসন্ধান চালান। ১৬১৪ সালের মার্চ মাসে নেদারল্যান্ডসের শাসন সংস্থা States General নিউ ওয়ার্ল্ড-এ বাণিজ্যের জন্য একচেটিয়া পেটেন্ট ঘোষণা করে। States General নিউ নেদারল্যান্ড উন্নয়নের জন্য একটি ব্যক্তিগত বাণিজ্যিক উদ্যোগ হিসেবে পেটেন্ট ইস্যু করে। নদীপথের সুরক্ষা এবং আদিবাসীদের সাথে বাণিজ্যের জন্য বর্তমানে আলবানি এলাকায় দ্রুত ফোর্ট ন্যাসাও নির্মাণ করা হয়। ১৬২৪ সালে নিউ নেদারল্যান্ড ডাচ প্রজাতন্ত্রের একটি প্রদেশে পরিণত হয়। পরবর্তীতে ইংরেজরা কেপ কড-এর উত্তরে অনুপ্রবেশ করায় উত্তর সীমা ৪২ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশে নামিয়ে আনা হয়।
Law of Nations অনুযায়ী, কোনো অঞ্চলের দাবি প্রতিষ্ঠা করতে হলে শুধু আবিষ্কার ও মানচিত্র তৈরিই নয়, বসতি স্থাপনও প্রয়োজন ছিল। ১৬২৪ সালের মে মাসে ডাচরা ৩০টি পরিবারকে Noten Eylant (বর্তমান গভর্নরস আইল্যান্ড) এ অবতরণ করিয়ে তাদের দাবি পূর্ণতা দেয়।
পরবর্তী কয়েক দশকে অদক্ষ ডিরেক্টর-জেনারেলদের দ্বারা নিউ নেদারল্যান্ড পরিচালিত হয়। উপনিবেশবাসীরা আদিবাসীদের আক্রমণের শিকার হন এবং ব্রিটিশ ও ডাচ সংঘাত উপনিবেশ ধ্বংসের পথে ঠেলে দেয়। কিন্তু ১৬৪৭ সালে পিটার স্টাইভসান্ট ডিরেক্টর-জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর সবকিছু বদলে যায়। উপনিবেশে এসে তিনি বলেছিলেন, “আমি তোমাদেরকে এক পিতার মতো শাসন করব।” তিনি উপনিবেশের সীমানা সম্প্রসারণ করেন। ১৬৫৫ সালে তিনি উত্তর ইউরোপের একমাত্র বসতি নিউ সুইডেন জয় করেন। ১৬৫০ সালে নিউ ইংল্যান্ডের সাথে সীমানা বিরোধ নিষ্পত্তি করেন। তিনি আদিবাসীদের হামলার বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা উন্নত করেন, এবং ১৬৪০ সালে যেখানে জনসংখ্যা ছিল ৫০০, তা ১৬৬৪ সালের মধ্যে বেড়ে দাঁড়ায় ৯,০০০-এ। কিন্তু ১৬৬৪ সালের আগস্ট মাসে চারটি ইংরেজ যুদ্ধজাহাজ নিউ ইয়র্ক বন্দরে এসে উপনিবেশ আত্মসমর্পণের দাবি করে। প্রথমে স্টাইভসান্ট প্রতিরোধ করার শপথ করেন, কিন্তু পর্যাপ্ত গোলাবারুদ ও বারুদের অভাবে এবং উপনিবেশবাসীদের দুর্বল সমর্থনে তিনি আত্মসমর্পণে বাধ্য হন। নিউ নেদারল্যান্ড পরবর্তীতে "নিউ ইয়র্ক" নামে পরিচিত হয়, ব্রিটিশ Duke of York-এর সম্মানে।
বাণিজ্যে প্রাধান্য অর্জনের উদ্দেশ্যে ইংরেজরা ১৬৬৪ সালে ডাচদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। তারা আমেরিকার আটলান্টিক উপকূলে ডাচ বন্দর নিউ অ্যামস্টারডাম দখল করে। রাজা দ্বিতীয় চার্লসের ভাই জেমস নিউ অ্যামস্টারডাম এবং এর আশেপাশের ডাচ অঞ্চলগুলোর চার্টার লাভ করেন।
১৬৭৩ সালে ডাচরা মিচিয়েল ডি রুইটার-এর নেতৃত্বে সাময়িকভাবে আবার নিউ নেদারল্যান্ড পুনর্দখল করে, এবং এইবার এর নাম দেয় New Orange। কিন্তু তৃতীয় অ্যাংলো-ডাচ যুদ্ধের শেষে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হলে, তারা অঞ্চলটি আবার ইংরেজদের কাছে ফিরিয়ে দেয়।
== অন্যান্য প্রারম্ভিক উপনিবেশে উপনিবেশ স্থাপনের ধরণ ==
ক্যারোলিনা অঞ্চলের নামকরণ করা হয়েছিল ব্রিটিশ রাজা প্রথম চার্লস-এর নামানুসারে, এবং এটি একটি মালিকানাভিত্তিক উপনিবেশ হিসেবে আটজন অভিজাত ব্যক্তিকে প্রদান করা হয়। এই মালিকগণ ক্যারোলিনাকে দুটি পৃথক উপনিবেশে ভাগ করে দেন – ''উত্তর ক্যারোলিনা'' এবং ''দক্ষিণ ক্যারোলিনা''।
চারটি উপনিবেশ ইতিমধ্যেই বিদ্যমান বৃহত্তর ভূখণ্ড থেকে বিভাজনের মাধ্যমে গঠিত হয়েছিল। নিউ হল্যান্ড যখন দখল করে নিউ ইয়র্কে রূপান্তরিত করা হয়, তখন রাজা জেমস ভূখণ্ডের একটি অংশ, বর্তমান ''নিউ জার্সি'', লর্ড বার্কলি ও স্যার জর্জ কার্টারেট-কে প্রদান করেন, এবং বর্তমান নিউ ইয়র্ক নিজের জন্য একটি মালিকানাভিত্তিক উপনিবেশ হিসেবে রাখেন। স্যার জর্জ এসেছিলেন জার্সি দ্বীপপুঞ্জ থেকে, এবং সেই অনুযায়ী নতুন উপনিবেশের নাম রাখা হয়। ভূখণ্ডের আরেকটি অংশ হয়ে ওঠে রাজমুকুট-নিয়ন্ত্রিত উপনিবেশ ''কানেকটিকাট''। এই উপনিবেশের নামকরণ করা হয় সেখানকার আদি ভারতীয় জনগোষ্ঠীর নামানুসারে। ১৭০৪ সালে পেনসিলভানিয়ার একটি কোণ, যেখানে কোয়াকাররা বসবাস করত না, বিচ্ছিন্ন হয়ে ''ডেলাওয়্যার'' উপনিবেশে পরিণত হয়। এর নামকরণ করা হয় টমাস ওয়েস্ট, তৃতীয় ব্যারন ডি লা ওয়্যার-এর নামে, যিনি ছিলেন রানি এলিজাবেথের আমলের একজন অভিজাত এবং খ্যাতিমান অভিযাত্রী।
''রোড আইল্যান্ড'' ছিল ধর্মীয় ও রাজনৈতিক স্বাধীনতার একটি অনন্য পরীক্ষা। রজার উইলিয়ামস যখন প্রচার করতে থাকেন যে যিশু খ্রিস্ট চেয়েছিলেন যাতে গির্জা শাসনক্ষমতা থেকে পৃথক থাকে, তখন ম্যাসাচুসেটস তাকে নির্বাসিত করে। চার্চ অব ইংল্যান্ড এবং পরবর্তীতে পিউরিটানদের বিরোধিতা করা এই ব্যক্তি হন প্রথম আমেরিকান ব্যাপটিস্ট। অন্যান্য উপনিবেশে নানা অভিযানের পর, তিনি নারাগানসেট ভারতীয়দের কাছ থেকে জমি কিনে একটি নতুন বসতি স্থাপন করেন। প্রভিডেন্স গঠিত হয়েছিল ধর্মীয় জটিলতা থেকে মুক্ত একটি উপনিবেশ এবং বিবেকবান মানুষের আশ্রয়স্থল হিসেবে। পরে তার অনুসরণে আসেন অ্যান হাচিনসন। তিনি বোস্টনের ধর্মীয় নেতাদের ক্ষুব্ধ করেছিলেন কারণ তিনি একজন নারী হয়েও প্রচার করতেন, এবং তিনি বিশ্বাস করতেন যে কার্যের সঙ্গে কৃপার সম্পর্ক সবসময় থাকে না, যা পিউরিটান মতবাদের বিরুদ্ধে। তিনিও ভারতীয়দের কাছ থেকে জমি কিনেছিলেন। সেখানে গঠিত হয় ''পোর্টসমাউথ'' নামের বসতি, এবং পরে একটি মতানৈক্যপূর্ণ সহোদর শহর ''নিউপোর্ট''। উপনিবেশটি আংশিকভাবে আকুইডনেক দ্বীপের উপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠে, যা পরবর্তীতে অজানা কারণে রোড আইল্যান্ড নামে পরিচিতি পায়, এবং পুরো উপনিবেশের নাম ওই স্থান থেকে নেওয়া হয়।
''জর্জিয়া'' ছিল আরেকটি মালিকানাভিত্তিক উপনিবেশ, যা রাজা প্রথম জর্জ-এর নামানুসারে নামকরণ করা হয়। ১৭৩২ সালে জেমস ওগলথর্প ও অন্যান্যদের কাছে এর চার্টার প্রদান করা হয়। এটি অন্যান্য উপনিবেশকে ফ্লোরিডার স্প্যানিশ ও লুইজিয়ানার ফরাসিদের আক্রমণ থেকে রক্ষার জন্য একটি "বাফার" উপনিবেশ হিসেবে পরিকল্পিত ছিল। এই কারণে, জর্জিয়া ছিল একমাত্র উপনিবেশ যেটি প্রতিষ্ঠার সময় থেকেই ব্রিটিশ রাজশক্তির আর্থিক সহায়তা পেয়েছিল। তৎকালীন ব্রিটেনে ঋণগ্রস্ত মানুষদের কারাগারে পাঠানো হতো। এই ধরনের অনেক বন্দিকে অতিরিক্ত ভিড়যুক্ত জেল থেকে মুক্ত করে জর্জিয়া উপনিবেশে পাঠানো হয়। তখন আমেরিকাকে ইতিমধ্যে সমৃদ্ধির ভূমি হিসেবে দেখা হচ্ছিল, এবং ওগলথর্প আশা করেছিলেন এই প্রাক্তন বন্দিরা দ্রুত সৎ ও ধনী হয়ে উঠবে। কিন্তু লন্ডনের জেলখানার অধিকাংশ বন্দিই নতুন অজানা বন্য অঞ্চলে টিকে থাকার জ্ঞান রাখত না।
== ব্রিটিশ উপনিবেশগুলোর একটি চিত্র ==
উপনিবেশগুলোকে প্রায়শই তিনটি ভাগে বিবেচনা করা হয়: '''নিউ ইংল্যান্ড''' (নিউ হ্যাম্পশায়ার, ম্যাসাচুসেটস, রোড আইল্যান্ড, কানেকটিকাট), '''দক্ষিণ উপনিবেশসমূহ''' (মেরিল্যান্ড, ভার্জিনিয়া, ক্যারোলিনাসমূহ এবং জর্জিয়া), এবং '''মধ্য উপনিবেশসমূহ''' (নিউ ইয়র্ক, নিউ জার্সি, পেনসিলভানিয়া এবং ডেলাওয়্যার)। কখনও কখনও ক্যারোলিনাসমূহ এবং জর্জিয়া-কে চেসাপিক উপনিবেশ থেকে আলাদাভাবে গণ্য করা হয়।
প্রত্যেকটি গোষ্ঠীর ভৌগোলিক ও অর্থনৈতিক বৈশিষ্ট্য ছিল। নিউ ইংল্যান্ডের পাথুরে মাটি কেবল ছোট খামারের পক্ষে উপযুক্ত ছিল, এবং কৃষিকাজের সুযোগ সীমিত ছিল। ফলে, এই অঞ্চলের লোকেরা অর্থ উপার্জনের জন্য মাছ ধরা, বনজ সম্পদ আহরণ, জাহাজ পরিবহন ও ক্ষুদ্র শিল্পের ওপর নির্ভর করত।<ref>{{cite book |last = Morison |first = Samuel Eliot |coauthors = |title = The Oxford History of the American People |publisher = Mentor |year = 1972 |location = New York City |pages =199–200 |url = |doi = |id = |isbn = 0451-62600-1 }}</ref>
দক্ষিণ উপনিবেশের উর্বর জমি ব্যক্তি মালিকদের দ্বারা দখল হয়, যারা বড় আকারের খামার তৈরি করেছিল যেখানে তামাক এবং পরবর্তীতে তুলা চাষ করা হতো। ক্যারোলিনাসমূহে চিনি, ধান ও নীল গাছও চাষ হতো। ১৭শ শতকে, এসব ফসল খাটিয়ে নেওয়া হতো চুক্তিভিত্তিক শ্রমিকদের দ্বারা—যারা আমেরিকায় আসার জন্য ভাড়ার বিনিময়ে নির্দিষ্ট বছর কাজ করত এবং পরবর্তীতে জমির অধিকার পেত। এদের অনেকেই চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই মারা যেত। ১৬৭৬ সালে চুক্তিভিত্তিক শ্রমিকদের একটি দল বেকনের বিদ্রোহে অংশগ্রহণ করে। এই বিদ্রোহের পর, বৃহৎ খামারগুলো আফ্রিকান ক্রীতদাসদের কাজে লাগাতে শুরু করে। যদিও অনেক চুক্তিভুক্ত শ্বেতাঙ্গ পরবর্তীতে মুক্ত হয়, তারা সামাজিকভাবে নিম্নবর্গেই থেকে যায়, যদিও তারা ক্রমাগত কঠোরতর দাসবিধির আওতায় পড়ত না—এই দাসবিধিগুলো দক্ষিণ উপনিবেশে দাসদের প্রায় সব স্বাধীনতা অস্বীকার করত। আমেরিকান বিপ্লবের সময়, প্রতি পাঁচজন উপনিবেশবাসীর মধ্যে একজন ছিলেন আফ্রিকান দাস। আর দক্ষিণে দাসশ্রমে উৎপন্ন পণ্যই ছিল মধ্য উপনিবেশ ও নিউ ইংল্যান্ডের শহরগুলোর ভোগ ও বাণিজ্যের প্রধান উপকরণ। খুব কম লোকই দাসভিত্তিক অর্থনীতিকে প্রশ্ন করত।
মধ্য উপনিবেশে ছিল মাঝারি আকারের খামার। এসব উপনিবেশে ছিল বিভিন্ন সংস্কৃতি ও বিশ্বাসের মানুষ। এই রাজ্যগুলোতেও চুক্তিভিত্তিক শ্রমিক এবং পরে দাস ব্যবহার করা হতো, কিন্তু দক্ষিণ উপনিবেশের মতো বিশালসংখ্যক দাসশ্রমের ব্যবহার সেখানে দেখা যেত না।
আরেকটি পার্থক্য ছিল ধর্মীয় চর্চায়। নিউ ইংল্যান্ড ছিল মূলত কনগ্রিগেশনালিস্ট, কিছুটা প্রেসবিটারিয়ান এবং নিজেকে ব্যাপটিস্ট দাবি করা ধর্মীয় অসামঞ্জস্যবাদীদের উপস্থিতি ছিল। তারা সবাই ছিলেন ব্রিটিশ গৃহযুদ্ধের পূর্ব ও সময়কার ধর্মীয় ভিন্নমতাবলম্বীদের উত্তরসূরি। দক্ষিণে প্রধানত অ্যাংলিকানরা ছিল, যারা ধর্মীয় ও ধর্মবহির্ভূত ঐতিহ্য ও ছুটির দিনগুলোকে মূল্য দিত। মধ্য উপনিবেশে ছিল হল্যান্ড, জার্মান ভূখণ্ড ও এমনকি বোহেমিয়ার ছোট ছোট জনগোষ্ঠী, যারা নিয়ে এসেছিল ক্যাথলিক ও প্রোটেস্টান্ট বিশ্বাসের বৈচিত্র্য।
যেসব শ্বেতাঙ্গকে ইংরেজ কর্তৃপক্ষ আমেরিকায় পাঠিয়েছিল, তাদের মধ্যে অনেক স্কটস-আইরিশ ছিল, যারা আলস্টার থেকে আগত। এরা ছিল ক্যালভিনবাদী প্রোটেস্টান্ট, যাদের অবস্থান ছিল আইরিশ ক্যাথলিক সংখ্যাগোষ্ঠীর মধ্যে, এবং তারা উভয় পক্ষ ও ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধেই অবস্থান করত। এই সংখ্যালঘু দল অ্যাপালাচিয়ান পর্বতমালা এবং পরে ওহাইও ও মিসিসিপি অঞ্চলের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে বসতি স্থাপন করেছিল। আমেরিকায় তারা ভূমি ও স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষায় সামান্য খরচে উপনিবেশের সীমান্তকে পশ্চিম দিকে প্রসারিত করেছিল, এবং পূর্বাঞ্চলের বসতিগুলো ও স্থানচ্যুত আদিবাসী গোষ্ঠীর মধ্যে একপ্রকার সশস্ত্র সীমানা রক্ষা করেছিল। উপনিবেশিক সীমান্তবাসীদের জীবন ছিল অত্যন্ত কষ্টকর—তারা নিজের হাতে ঘন বনাঞ্চলে শহর ও খামার গড়ে তুলত, দারিদ্র্য ও আদিবাসী আক্রমণের মুখোমুখি হয়ে।
প্রত্যেকটি উপনিবেশ স্থানীয় ধর্মবিশ্বাস ও সামর্থ্য অনুযায়ী শিক্ষাদান ও বিনোদনের নিজস্ব ক্ষেত্র গড়ে তোলে। দক্ষিণাঞ্চলের সংস্কৃতিতে সংগীতনাট্যে আগ্রহ দেখা যায়, যার কেন্দ্র ছিল চার্লসটন, সাউথ ক্যারোলিনা এবং উইলিয়ামসবার্গ, ভার্জিনিয়া। ১৭৫০ সালে নিউ ইয়র্ক সিটিতে শেক্সপিয়ারের "রিচার্ড তৃতীয়" নাটকের একটি পেশাদার পরিবেশনা হয়, যা ছিল আমেরিকায় শেক্সপিয়ারের প্রথম পেশাদার নাট্য পরিবেশনা। প্রচারক, বক্তা ও গায়করা উপনিবেশবাসীদের বিনোদন দিতেন।
তাদের মধ্যে পার্থক্যের চেয়ে মিলই ছিল বেশি। তিনটি অঞ্চলেই জনসংখ্যা প্রধানত ব্রিটিশ দ্বীপপুঞ্জ থেকে আগত। প্রত্যেকটির সড়কব্যবস্থা ছিল অত্যন্ত খারাপ, এবং আটলান্টিক মহাসাগরের মাধ্যমে তারা পরিবহণের সংযোগ রাখত। এরা সবাই আটলান্টিক অর্থনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিল। আটলান্টিক অঞ্চলের বণিকেরা জাহাজে করে আমেরিকা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ইউরোপ এবং আফ্রিকার মধ্যে দাস, তামাক, রাম, চিনি, সোনা, রূপা, মসলা, মাছ, কাঠ এবং প্রস্তুত পণ্য আদান-প্রদান করত।<ref>{{cite book|title=Cod: A Biography of the Fish That Changed the World|last=Kurlansky|first=Mark|publisher=New York: Walker|isbn=0-8027-1326-2}}</ref> নিউ ইয়র্ক, ফিলাডেলফিয়া, বোস্টন ও চার্লসটন ছিল সে সময়ের বৃহত্তম শহর এবং প্রধান বন্দর।<ref>{{cite web| url= http://www.census.gov/population/www/documentation/twps0027/tab02.txt| title= Earliest Population Figures for American Cities | author= U.S. Census Bureau|accessdate=2010-08-29}}</ref>
== প্রাথমিক প্রযুক্তি ==
প্রথম দফার উপনিবেশকারীরা খেটে খাওয়া শ্রমের মাধ্যমে তাদের খামার চাষ করতেন এবং কুমারশিল্প ও চামড়া ট্যানিংয়ের মতো ভূমিভিত্তিক হস্তশিল্প গড়ে তুলেছিলেন। পরবর্তী সময়ে জাহাজে করে গরু ও ঘোড়া আনা হলে খসড়া প্রাণী অর্থনীতির অংশ হয়ে ওঠে। চুক্তিভিত্তিক শ্রমিক এবং পরে আফ্রিকা থেকে অপহৃত দাসদের আমদানি করা হয়। তখনই বৃহৎ আকারের প্ল্যান্টেশন স্থাপিত হতে শুরু করে। অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষভাগে ছোট পরিসরে যন্ত্রনির্ভর উৎপাদনশিল্প দেখা দেয়। লোকজন কয়লা ও লৌহ আকরিক খনন শুরু করে। নিউ ইংল্যান্ড ওই আকরিক ব্যবহার করে নির্মাণ সরঞ্জাম ও ঘোড়ার নাল তৈরি করতে শুরু করে। দক্ষিণের তুলার ওপর নির্ভরশীল একটি নতুন বস্ত্রশিল্প গড়ে ওঠে। কাঠ বা কয়লা দ্বারা চালিত এবং শক্তিশালী ধাতুর চাহিদায় পরিচালিত গৃহস্থালির ধাতুকর্মে লোহা গলানোর নতুন কৌশল উদ্ভাবিত হয়। লোহার কাজ করা কারিগর ও টিনশিল্পীরা বড় বসতিগুলোর অংশ হয়ে ওঠে। উপনিবেশগুলো যান্ত্রিক ঘড়ি, আগ্নেয়াস্ত্র এবং ছাপাখানার জন্য সীসা টাইপ তৈরি করতে শুরু করে।
<gallery mode="packed" heights="150px">
File:The Francis Skerry Beaker, Jeremiah Dummer, American, c. 1670, silver - Fogg Art Museum, Harvard University - DSC01384.jpg|১৬৭০ সালের কাছাকাছি সময়ে আমেরিকায় জন্মগ্রহণকারী প্রথম রূপকার [[w:Jeremiah Dummer (silversmith)|জেরেমায়া ডামার]] নির্মিত একটি রূপার বীকার।
File:First Slave Auction 1655 Howard Pyle.jpg|১৬৫৫ সালে নিউ আমস্টারডামে অনুষ্ঠিত প্রথম দাস নিলামের চিত্র। (১৮৯৫ সালের চিত্রাঙ্কন)
File:WestFrontMansionMountVernon.jpg|মাউন্ট ভারন প্ল্যান্টেশন, নির্মিত ১৭৫৮ সালে। যখন জর্জ ওয়াশিংটন ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেন, তখনও তিনি তার নিজের দাসদের ধরে রেখেছিলেন, যারা নিজেরাও স্বাধীনতার অভাবে অসন্তুষ্ট ছিলেন।<ref>{{cite web |title=Resistance and Punishment |url=https://www.mountvernon.org/george-washington/slavery/resistance-and-punishment/ |website=George Washington's Mount Vernon |accessdate=19 September 2020 |language=en}}</ref>
File:Parkman Tavern, Concord MA.jpg|[[w:Parkman Tavern|পার্কম্যান ট্যাভার্ন]], কনকর্ড, ম্যাসাচুসেটস-এ ১৬৫৯ সালে নির্মিত।
</gallery>
== বাণিজ্যনৈতিক মতবাদ, সহনশীল অবহেলা ও ব্রিটিশ হস্তক্ষেপ ==
আমেরিকান উপনিবেশগুলো, যারা সমুদ্র দিয়ে বিচ্ছিন্ন একেবারে নতুন সমাজ ছিল, বিশ্বাস করত যে তাদের নিজেদের শাসনের অধিকার রয়েছে। এই বিশ্বাসকে উৎসাহিত করেছিল ব্রিটেনের গৌরবময় বিপ্লব এবং ১৬৮৯ সালের অধিকার বিল, যা পার্লামেন্টকে সর্বোচ্চ শাসনক্ষমতা দেয়। '''সহনশীল অবহেলার''' নামে পরিচিত অপেক্ষাকৃত শিথিল নিয়ন্ত্রণের এই নীতির অবসান ঘটে ব্রিটিশ নিয়ন্ত্রণ বৃদ্ধি পাওয়ার মাধ্যমে, যা বাণিজ্যনৈতিক মতবাদের প্রভাবে এবং লর্ডস অফ ট্রেড ও পরবর্তী ন্যাভিগেশন আইনগুলোর মাধ্যমে প্রতিফলিত হয়।
=== বাণিজ্যনৈতিক মতবাদ ===
পার্লামেন্ট, '''বাণিজ্যনৈতিক মতবাদ''' নামক অর্থনৈতিক নীতির অনুসরণে, উপনিবেশগুলোর বাণিজ্যের ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করে। এই মতবাদের মূল ধারণা ছিল—একটি জাতির অর্থনৈতিক শক্তি নির্ভর করে তার রপ্তানি পণ্যের মূল্যের ওপর। একটি দেশ তার উপনিবেশগুলোর মাধ্যমে কাঁচামালের পরিবর্তে প্রস্তুত পণ্য উৎপাদন করতে পারে। এই পণ্যগুলো অন্যান্য দেশের সঙ্গে বিনিময় করে উপনিবেশকারী দেশের শক্তি বাড়ানো সম্ভব। এই নীতির প্রবর্তক ছিলেন ফরাসি অর্থনীতিবিদ জঁ-বাতিস্ত কোলবে। এটি ব্রিটেনের জন্য অত্যন্ত উপযোগী মনে করা হয়। স্পেনের অর্থনৈতিক ভিত্তি ছিল আমেরিকান সোনা, আর ফ্রান্সের ছিল আমেরিকান পশম। ইংল্যান্ডের কাছে সোনা বা পশম ছিল না, তবে তাদের ছিল আমেরিকান তুলা, মলাসেস (আখের গুড়), তামাক, এবং উন্নত মানের জাহাজ। ১৭০০ শতকের মধ্যভাগ পর্যন্ত উপনিবেশগুলো “সহনশীল অবহেলা”-এর দীর্ঘ সময় উপভোগ করেছিল, যেখানে ব্রিটিশরা প্রায়ই উপনিবেশগুলিকে নিজেদের মতো করে পরিচালনা করতে দিত। এখন সেই সময় শেষ হয়।
=== লর্ডস অফ ট্রেড ===
বাণিজ্যনৈতিক নীতিগুলো কার্যকর করার প্রয়াসে রাজা দ্বিতীয় চার্লস প্রিভি কাউন্সিলের একটি নতুন কমিটি হিসেবে '''লর্ডস অফ ট্রেড''' গঠন করেন। এই লর্ডরা উপনিবেশগুলোর শাসন ইংরেজদের পক্ষে উপযোগী করার চেষ্টা করেন, উপনিবেশবাসীদের পক্ষে নয়।
লর্ডস অফ ট্রেড চেয়েছিল সমস্ত আমেরিকান উপনিবেশকে রাজকীয় উপনিবেশে রূপান্তর করতে, যাতে মুকুটের শক্তি বাড়ানো যায়। রাজা দ্বিতীয় জেমস-এর শাসনকালে (দ্বিতীয় চার্লসের উত্তরসূরি), নিউ ইয়র্ক, নিউ জার্সি এবং পুরিটান উপনিবেশগুলোকে একত্র করে ১৬৮৭ সালে “ডমিনিয়ন অব নিউ ইংল্যান্ড” গঠন করা হয়।
তবে এই ডমিনিয়ন অল্পদিন টিকে ছিল। দ্বিতীয় জেমস ছিলেন ক্যাথলিক, আর ব্রিটিশ প্রোটেস্টান্টরা তাকে হুমকি মনে করত। গৌরবময় বিপ্লবে (১৬৮৮) তাকে সিংহাসনচ্যুত করা হয় (পার্লামেন্ট তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে সিংহাসন ত্যাগ করানো হয়েছে বলে ধরে নেয়)। ১৬৮৯ সালে জেমসের কন্যা মেরি দ্বিতীয় ও তার স্বামী উইলিয়াম তৃতীয় যুগ্মভাবে সিংহাসনে বসেন। তবে প্রকৃত ক্ষমতা ছিল ব্রিটিশ পার্লামেন্টের হাতে। ডমিনিয়ন অব নিউ ইংল্যান্ড বিলুপ্ত হয়, পৃথক উপনিবেশগুলো পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয় এবং লর্ডস অফ ট্রেড বিলুপ্ত হয় (এর পরিবর্তে কেবল উপদেষ্টা ভিত্তিক একটি বোর্ড অফ ট্রেড গঠিত হয়)।
=== ন্যাভিগেশন আইনসমূহ ===
১৬৬০ সাল থেকে ইংল্যান্ডের পার্লামেন্ট '''ন্যাভিগেশন আইনসমূহ''' প্রণয়ন করতে থাকে, যাতে তারা তাদের উপনিবেশ থেকে বেশি লাভ তুলতে পারে। এসব আইনের অধীনে নির্ধারিত হয় যে যেকোনো উপনিবেশিক আমদানি-রপ্তানি কেবলমাত্র ইংল্যান্ডে নিবন্ধিত জাহাজে পরিবাহিত হতে পারবে—মানে শুধুমাত্র ইংল্যান্ডই শিপিং-এর ক্ষমতা ও এর থেকে আসা মুনাফা ভোগ করবে। তামাক ও চিনি রপ্তানি শুধুমাত্র ইংল্যান্ডে করা যাবে, অন্য কোনো দেশে নয়। (তখন তামাক ও চিনি দুটোই ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হতো—চিনির দ্বারা অ্যালকোহল তৈরি করা হতো যা ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হতো)। এবং উপনিবেশগুলো কোনো বিদেশি নির্মিত পণ্য আমদানি করতে পারত না, যদি না সেগুলো প্রথমে ইংল্যান্ডে নিয়ে যাওয়া হতো, সেখানে শুল্ক পরিশোধ করা হতো, তারপর সেগুলো উপনিবেশে পাঠানো হতো।
১৭৩০-এর দশকে, সুগার অ্যাক্ট অনুযায়ী উপনিবেশগুলোতে আমদানি হওয়া প্রতি গ্যালন চিনি বা মলাসেসের ওপর ছয় পেন্স কর আরোপ করা হয়। ১৭৫০ সালের মধ্যে পার্লামেন্ট আরও অনেক পণ্যের ওপর নিষেধাজ্ঞা, নিয়ন্ত্রণ বা কর আরোপ করতে শুরু করে। তারা উপনিবেশে সমস্ত ধরনের উৎপাদন ঠেকাতে চায়। এই নীতিগুলো উপনিবেশবাসীদের মধ্যে প্রবল ক্ষোভ সৃষ্টি করে, যদিও ইউরোপের অন্যান্য রাজতন্ত্রের প্রজাদের তুলনায় তাদের করভার তুলনামূলকভাবে কম ছিল।
উপনিবেশবাসীরা ন্যাভিগেশন আইনগুলোকে ঘৃণা করত, কারণ তারা বিশ্বাস করত যে নিজেরা বাণিজ্য করতে পারলে আরও সমৃদ্ধ ও ধনী হতে পারত। তারা আরও বিশ্বাস করত যে কিছু গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ ইংল্যান্ডে পাওয়া যায় না।
== ১৭০০-এর দশকে আদিবাসীরা ==
গ্রেট প্লেইন্স-এর আদিবাসীরা:
আজকের দিনে, যেই অঞ্চল জুড়ে গ্রেট প্লেইন্স-এর সমস্ত আদিবাসীরা বাস করতেন, তা রকি পর্বতমালা থেকে মিসিসিপি নদী পর্যন্ত বিস্তৃত। ১৭০০-এর দশকে, প্রায় ৩০টি গোত্র এই গ্রেট প্লেইন্স অঞ্চলে বসবাস করত। এই গোত্রগুলো মূলত খাদ্য এবং দৈনন্দিন অন্যান্য প্রয়োজনীয়তার জন্য মহিষের ওপর নির্ভর করত। আদিবাসীরা—বিশেষ করে নারীরা—তাদের পোশাক মহিষের চামড়া দিয়ে তৈরি করতেন, তবে তারা হরিণের চামড়াও ব্যবহার করতেন। নারীরা মৃত হরিণ বা মহিষের চামড়া জলে ভিজিয়ে রাখতেন এবং এরপর তার লোম চেঁছে ফেলতেন।<ref name="englar">Englar, Mary. The Great Plains Indians: Daily Life in the 1700s. Mankato, MN: Capstone, 2006. Print.</ref>
তদ্ব্যতীত, আদিবাসী গোত্রগুলো একে অপরের সঙ্গে বাণিজ্য করত। একজন ব্যক্তির কাছে যত বেশি ঘোড়া থাকত, তাকে তত বেশি ধনী বলে মনে করা হতো; আদিবাসীরা তাদের ঘোড়ার বিনিময়ে খাদ্য, যন্ত্রপাতি, অস্ত্র (যেমন বন্দুক), এবং পশুচর্ম বিনিময় করত। যেহেতু বিভিন্ন গোত্রের ভাষা একে অপরের থেকে ভিন্ন ছিল, তাই তারা পারস্পরিক বাণিজ্যের সময় সাঙ্কেতিক ভাষা ব্যবহার করত।<ref name="englar" />
== ফিলাডেলফিয়া নির্বাচনী দাঙ্গা ==
১৭৪২ সালে নির্বাচনের দিনে ফিলাডেলফিয়ায় একটি দাঙ্গা শুরু হয়, যার কারণ ছিল অ্যাঙ্গলিকান জনগণের কোয়াকার সংখ্যাগোষ্ঠীর সঙ্গে মতবিরোধ। এই দাঙ্গার মূল কারণ ছিল অ্যাঙ্গলিকান ও কোয়াকার জনগণের মধ্যে ক্ষমতার দ্বন্দ্ব। কোয়াকাররা ফিলাডেলফিয়ায় দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক আধিপত্য বজায় রেখেছিল। জার্মান জনগণ কোয়াকারদের ভোটকে সমর্থন করেছিল, কারণ কোয়াকার অহিংস নীতির ফলে কর বাড়ার সম্ভাবনা এবং শেষ পর্যন্ত বাধ্যতামূলক সৈন্যভর্তির আশঙ্কা কমে যেত। নির্বাচনের দিনে অ্যাঙ্গলিকান ও নাবিকেরা কোয়াকার এবং জার্মানদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। কোয়াকাররা কোর্টহাউসে আশ্রয় নিতে সক্ষম হয় এবং নির্বাচন সম্পন্ন করে। অ্যাঙ্গলিকান দল নির্বাচনে পরাজিত হয় এবং দাঙ্গার পর ৫৪ জন নাবিককে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়।
== শিক্ষা ==
১৭০০-এর দশকে উপনিবেশগুলোর তিনটি অঞ্চল ভিন্ন ভিন্ন আগ্রহসম্পন্ন জনগোষ্ঠী নিয়ে গঠিত ছিল, ফলে তারা তাদের শিশুদের জন্য ভিন্নধর্মী শিক্ষা প্রদান করত। যদিও কিছু সাধারণ বৈশিষ্ট্য ছিল — তিন অঞ্চলের যে কোনো ধনী পরিবার তাদের পুত্রকে ইউরোপে পড়তে পাঠাতে পারত — তবুও বিভিন্ন উপনিবেশে শিক্ষাদানের ধরণে পার্থক্য দেখা যেত।
নিউ ইংল্যান্ডে শিক্ষার উদ্দেশ্য ছিল সামাজিক ও ধর্মীয় উভয়ই। একজন সুশীল নাগরিককে অবশ্যই বাইবেল জানতে হতো। ১৬৪৭ সালের ম্যাসাচুসেটস জেনারেল স্কুল আইন বলেছিল, যদি কোনো অঞ্চলে ৫০টির বেশি পরিবার বসবাস করে, তবে একজন স্কুলশিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে। এই আইনের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছিল: "সেই পুরাতন প্রতারক, শয়তানের অন্যতম প্রধান কৌশল হলো মানুষকে বাইবেলের জ্ঞান থেকে দূরে রাখা, যেমন পূর্বকালে অজানা ভাষায় বাইবেল রেখে আর বর্তমানে ভাষা ব্যবহারে নিরুৎসাহিত করে; যাতে মূল বক্তব্য বিভিন্ন মিথ্যা ব্যাখ্যা ও সান্ত-সদৃশ প্রতারকদের দ্বারা বিকৃত হয়; এবং যেন শিক্ষা আমাদের পূর্বপুরুষদের কবরে চাপা না পড়ে, গির্জা ও রাষ্ট্রে তা টিকে থাকে, প্রভুর সহায়তায় আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।" এটি ছিল পিলগ্রিমদের নীতিমালা, যা তারা স্বৈরাচারীদের চাপিয়ে দেওয়া অজ্ঞতার বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠা করেছিল। ছেলে ও মেয়েরা প্রায়শই তাদের বাবা-মায়ের কাছেই বাইবেল পড়তে শিখত, সম্ভবত একটি "হর্নবুক" ব্যবহার করে — এক ধরণের বর্ণমালা ও শব্দতালিকা পাতা, যেটি শিং দিয়ে মোড়ানো থাকত।
শুধু বাইবেল পড়তে পারলেই চলবে না, একজন খ্রিস্টানকে অবশ্যই তার সমাজে শাসন করতে পারতে হবে। (''তার'' সমাজে: কারণ সরকার পরিচালনা ছিল ধার্মিক, সম্পত্তিধারী পুরুষদের অধিকার, নারীদের নয়।) এই উদ্দেশ্যে তরুণদের ক্লাসিক্যাল শিক্ষা — মূলত লাতিনভিত্তিক — অর্জন করতে হতো। ১৬৪৭ সালের আইন ছিল আমেরিকান গ্রামার স্কুলের সূচনা, যা শুরুতে লাতিন পড়াত, পরে এতে নেভিগেশন, প্রকৌশল, হিসাবরক্ষণ, ও বিদেশি ভাষার মতো ব্যবহারিক বিষয় যুক্ত হয়।<ref>A People and a Nation, Eighth Edition</ref> উপনিবেশিক যুগে খোলা বেশিরভাগ স্কুল ছিল ব্যক্তিমালিকানাধীন।<ref>http://www.excite.com/education/education/history-of-american-education</ref> তবে এর আগে ছিল প্রথম সরকার-সমর্থিত বিদ্যালয়, ১৬৩৫ সালে প্রতিষ্ঠিত বোস্টন লাতিন স্কুল। এর পাঠ্যক্রম ছিল কঠোর, ফলে ছাত্রসংখ্যা ছিল কম। হার্ভার্ড ছিল আমেরিকার প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়, ১৬৩৬ সালে প্রতিষ্ঠিত, মূলত প্রোটেস্টান্ট ধর্মযাজকদের প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্যে। ক্লাসিক্যাল পাঠ্যক্রম থেকে স্নাতকের সংখ্যা খুবই কম ছিল, ফলে উপস্থিতিও ছিল কম। কেউ কেউ সরাসরি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতো, কেউ ১৪ বা ১৫ বছর বয়সেই হার্ভার্ডে ঢুকত। কটন ম্যাথার ১৫ বছর বয়সে হার্ভার্ড থেকে স্নাতক হয়েছিলেন, যা ছিল তার অস্বাভাবিক প্রতিভার কারণে ব্যতিক্রম। ব্যক্তিগত স্কুলে ছেলে ও মেয়েরা হাতের লেখা, মৌলিক গণিত, ইংরেজি পড়া ও লেখা শিখত। এরপর তারা বিভিন্ন পেশায় শিক্ষানবিশ হিসেবে প্রবেশ করত। যারা গৃহপরিচারিকা হতো না, তারা গৃহস্থালি কাজের জন্য প্রশিক্ষিত হতো — সূচিশিল্প, রান্না, এবং কয়েকদিন ধরে কাপড় ধোয়ার মতো কাজ শেখানো হতো।
নিউ ইংল্যান্ডের মতো, মধ্য উপনিবেশগুলোতেও বেসরকারি স্কুল ছিল, যেখানে পড়া ও লেখা শেখানো হতো। তবে মৌলিক শিক্ষা সেখানে আরও দুর্লভ ছিল। পশ্চিমে যত দূরে কেউ বাস করত, স্কুলে যাওয়া কিংবা পড়তে ও লিখতে শেখার সম্ভাবনা ততই কম হতো। জাতিগত ও ধর্মীয় উপগোষ্ঠীগুলো নিজেদের শিশুদের জন্য নিজেদের নিয়মে বেসরকারি স্কুল চালাত। কোনো উপনিবেশেই উচ্চশিক্ষা নিশ্চিত ছিল না। মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলো বড় শহর — যেমন বোস্টন, নিউ ইয়র্ক, ফিলাডেলফিয়া ও চার্লসটন — ছাড়া খুবই বিরল ছিল।<ref>A People and a Nation Eighth Edition</ref>
চেসাপিক অঞ্চলের অভিজ্ঞতা ছিল একেবারেই ভিন্ন। শিশুদের পড়তে ও লিখতে পারার পূর্বশর্ত ছিল, তাদের বাবা-মাও যদি তা পারেন।<ref>A People and a Nation Eighth Edition</ref> দক্ষিণে বিপ্লবী যুগ পর্যন্ত খুব কম সংখ্যক স্কুল ছিল, যেকোনো ধরণেরই হোক না কেন। ধনী পরিবারের শিশুরা ব্যক্তিগত শিক্ষকের অধীনে পড়াশোনা করত। ধনী মেয়েরা 'নারীসুলভ শিল্পকলায়' শিক্ষিত হতো, তবে তাদের পাঠ্যক্রম ভাইদের মতো হতো না। মার্থা ওয়াশিংটনের নাতনি এলিজা কাস্টিস তার সৎপিতার বিদ্রূপের কথা বলেছিলেন, যখন তিনি বলেছিলেন "[আমার] দুঃখ লেগেছিল, তারা আমাকে গ্রিক ও লাতিন শেখাতে চায়নি, কারণ আমি মেয়ে — তারা হাসল এবং বলল, মেয়েদের এসব জানার দরকার নেই, সেলাই, লেখা, অঙ্ক এবং সংগীতই যথেষ্ট।"<ref>Edmund S. Morgan. Virginians At Home: Family Life in the Eighteenth Century. Charlottesville, VA: Dominion Books, 1962(1952). P. 17</ref> মধ্যবিত্ত শিশুরা বাবা-মায়ের কাছেই পড়া শিখত, আর গরিব শিশুদের অনেকেই, বিশেষ করে কৃষ্ণাঙ্গ শিশুরা, কোনো শিক্ষাই পেত না। দক্ষিণে স্বাক্ষরতার হার উত্তরাঞ্চলের তুলনায় কম ছিল, যা উনবিংশ শতাব্দী পর্যন্ত বজায় ছিল।<ref>A People and a Nation, Eighth Edition</ref>
[[File:Harvard Old College.jpg|thumb|১৬৩৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হার্ভার্ড যুক্তরাষ্ট্রের সর্বপ্রথম উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান।]]
১৬৯৩ সালে কলেজ অব উইলিয়াম অ্যান্ড ম্যারি প্রতিষ্ঠিত হয়, যা ছিল ভার্জিনিয়ার প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়। ১৮ শতক গড়িয়ে এলে এটি ধর্মতত্ত্বের বদলে আইনশাস্ত্রে বিশেষীকরণ শুরু করে।<ref>Morgan, p. 27.</ref> ১৭০১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ''Collegiate College''। ১৭১৮ সালে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির ওয়েলশ গভর্নর এলিহু ইয়েলের অনুদানে এর নাম হয় ইয়েল কলেজ। পরে আরও কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় গঠিত হয়, যার মধ্যে ১৭৪৭ সালের প্রিন্সটন অন্যতম। ১৮ শতকে কলেজের পাঠ্যক্রমে জ্যোতির্বিজ্ঞান, পদার্থবিজ্ঞান, আধুনিক ইতিহাস ও রাজনীতি বিষয়গুলো গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। কিছু কলেজ ১৮ শতকে নেটিভ আমেরিকান ছাত্রদের ভর্তি করার চেষ্টা করলেও আফ্রিকান-আমেরিকানদের ভর্তি করা হতো না।<ref>A People and a Nation, Eighth Edition</ref>
১৬৪০ সালে ''The whole Booke of Psalms Faithfully Translated into English Metre'', যা সাধারণভাবে বেই পসাল্ম বুক নামে পরিচিত, ক্যামব্রিজ, ম্যাসাচুসেটসে মুদ্রিত হয়। এটি ছিল নতুন পৃথিবীতে (নর্থ আমেরিকায়) লেখা প্রথম বই। এই বিখ্যাত ও প্রভাবশালী সঙ্গীতবইটির পর নিউ ইংল্যান্ডে একটি পূর্ণাঙ্গ প্রকাশনা শিল্প গড়ে ওঠে। ১৬৮৭ সালের কিছু পর ''New England Primer'' প্রকাশিত হয়, যা শিশুদের পড়া ও বানানের সহায়ক হিসেবে ব্যবহৃত হতো।
একটি বিকল্প শিক্ষাপদ্ধতি দেখা যায় বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিনের প্রতিষ্ঠিত আমেরিকান অ্যাকাডেমিতে, যা ১৭৫১ সালে ফিলাডেলফিয়ায় গঠিত হয়। এই প্রতিষ্ঠানটি আধুনিক আমেরিকান হাই স্কুলের কাছাকাছি একটি মডেল ছিল, যেখানে পেশাগত শিক্ষা দেওয়া হতো। এ ধরণের স্কুল পরে ক্লাসিক্যাল সেকেন্ডারি স্কুলের সংখ্যাকে ছাড়িয়ে যায়। তবে ফ্রাঙ্কলিনের অ্যাকাডেমিও ছিল ব্যক্তিমালিকানাধীন, ফলে এ শিক্ষালাভ সম্ভব ছিল কেবল অর্থবিত্তশালীদের জন্য।
এই সময়কালে উপনিবেশবাসীরা নেটিভ আমেরিকানদের খ্রিস্টধর্মে ধর্মান্তরিত করার চেষ্টা চালায়।<ref>http://www.encyclopedia.com/doc/1G2-2536600517.html</ref>
== পুনঃমূল্যায়ন প্রশ্নাবলী ==
১. নিচের উপনিবেশগুলোর মধ্যে একটি নির্বাচন করুন: নিউ ইয়র্ক, ভার্জিনিয়া, ম্যাসাচুসেটস, জর্জিয়া। এটি উপনিবেশের কোন তিনটি অঞ্চলের মধ্যে অবস্থিত? কেন এবং কীভাবে এটি শুরুতে উপনিবেশিকৃত হয়েছিল? এর অভিবাসী ও তাদের অনুসৃত ধর্ম কিভাবে ওই অঞ্চলের ওপর প্রভাব ফেলেছিল?
২. ব্রিটিশরা কেন উপনিবেশগুলোর সঙ্গে হস্তক্ষেপ করেছিল?
==উৎসসমূহ==
{{reflist}} {{chapnav|Exploration|Road to Revolution}} {{status|100%}} {{BookCat}}
r874y57e9wivw6w08arsov6y6imgsfz
84816
84815
2025-06-18T09:22:53Z
Mehedi Abedin
7113
84816
wikitext
text/x-wiki
== উপনিবেশ স্থাপনের ধরণ ==
রেনেসাঁ যুগে গ্রেট ব্রিটেনের দ্বীপগুলোতে ব্যাপক পরিবর্তন আসে, যার ফলে ইংল্যান্ডের চার্চ প্রতিষ্ঠিত হয়, ব্রিটিশ গৃহযুদ্ধ সংঘটিত হয় এবং অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও আইনগত ব্যবস্থার সম্পূর্ণ রূপান্তর ঘটে। তবুও এই সময়কালে, অন্যান্য জাতি এবং আমেরিকার নিজস্ব আদিবাসীদের চাপ সত্ত্বেও, ইংরেজদের একটি বৈচিত্র্যময় উপনিবেশ গড়ে ওঠে এবং সফল হয়।
এই নতুন উপনিবেশগুলো তিনটি ভিন্ন উপায়ে অর্থায়িত হয়েছিল। একটি পদ্ধতিতে, '''কর্পোরেট উপনিবেশ''' যৌথ স্টক কোম্পানির মাধ্যমে স্থাপিত হতো। যৌথ স্টক কোম্পানি এমন একটি প্রকল্প যেখানে লোকেরা একটি নতুন উপনিবেশ গড়ে তুলতে শেয়ার কিনে বিনিয়োগ করত। উপনিবেশটির সফলতার ওপর ভিত্তি করে, প্রতিটি বিনিয়োগকারী তার ক্রয়কৃত শেয়ারের অনুপাতে লাভ পেত। এই বিনিয়োগ সম্পূর্ণভাবে নিজে উপনিবেশ শুরু করার চেয়ে কম ঝুঁকিপূর্ণ ছিল এবং প্রতিটি বিনিয়োগকারী উপনিবেশ পরিচালনায় প্রভাব ফেলতে পারত। তারা প্রায়ই নিজেদের জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করত। (অন্য মহাদেশে একটি যৌথ স্টক কোম্পানির উদাহরণ হলো ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি)। ভার্জিনিয়ায় এইভাবে বসতি স্থাপন করা হয়েছিল।
'''প্রোপ্রাইটারি উপনিবেশ''' ছিল কোনো ব্যক্তি বা পরিবারের মালিকানাধীন, যারা তাদের ইচ্ছামতো আইন প্রণয়ন ও কর্মকর্তাদের নিয়োগ করত। এই মালিকানার কারণেই উন্নয়ন সরাসরি সংঘটিত হতো। চার্লস দ্বিতীয় উইলিয়াম পেনকে বর্তমান পেনসিলভেনিয়া অঞ্চলটি প্রদান করেন। পেনের নতুন উপনিবেশ কোয়াকারদের আশ্রয় দেয়, যারা ছিল সহস্রাব্দবাদী প্রোটেস্ট্যান্টদের একটি দল হিসেবে ইংল্যান্ডের চার্চের বিরোধিতা করত। (কোয়াকারদের মন্ত্রী থাকত না এবং তারা ধর্মীয় বা নাগরিক বৈষম্যকে মানত না, যা তাদের শ্রেণিভিত্তিক সমাজে বিপজ্জনক উপাদান করে তুলেছিল)। পেন ছিলেন একজন স্পষ্টবাদী কোয়াকার এবং তিনি কোয়াকার বিশ্বাস রক্ষায় অনেক প্রচারপত্র লিখেছিলেন। তিনি অন্যান্য দেশ ও প্রোটেস্ট্যান্ট সংখ্যালঘুদের—এমনকি কিছু ক্যাথলিককেও—উপনিবেশে আসতে আমন্ত্রণ জানান।
সবশেষে, '''রাজকীয় উপনিবেশ''' ছিল রাজা কর্তৃক সরাসরি নিয়ন্ত্রিত এবং সেখানে রাজার নিযুক্ত রাজ্যপাল থাকত। তবে রেজাল্টিং সেটেলমেন্ট বা গঠিত উপনিবেশগুলো সবসময় ইংল্যান্ডের অনুরূপ ছিল না। উদাহরণস্বরূপ, অষ্টম হেনরির শাসনকালে ইংল্যান্ড ক্যাথলিক ধর্ম থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছিল এবং পুরাতন বিশ্বাসকে শুধু ধর্মীয় ভ্রান্তি নয়, বরং বিদেশি আধিপত্যের পূর্বাভাস হিসেবে দেখা হতো। তবুও, মেরিল্যান্ডে ক্যাথলিকদের প্রতি সহনশীলতা ব্রিটিশ মুকুটের পক্ষ থেকে একটি অনুগ্রহ হিসেবে দেওয়া হয়েছিল। ১৬৩৪ সালে লর্ড বাল্টিমোর ইংল্যান্ডের জর্জ ক্যালভার্টকে ভার্জিনিয়ার উত্তরে ও পেনসিলভেনিয়ার দক্ষিণে একটি সরু ভূমি অঞ্চলে একটি ক্যাথলিক উপনিবেশ স্থাপন করার জন্য নিয়োগ দেন রাজকীয় সনদের মাধ্যমে। পনেরো বছর পরে, ১৬৪৯ সালে, তিনি সহনশীলতা আইনে স্বাক্ষর করেন, যা উপনিবেশবাসীদের জন্য ধর্মীয় স্বাধীনতা ঘোষণা করে। মূল সনদ সত্ত্বেও পরে প্রোটেস্ট্যান্টরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ ধর্মে পরিণত হয়। লর্ড বাল্টিমোরের মৃত্যুর কয়েক বছর পর, মেরিল্যান্ডের একজন বিশিষ্ট জমিদারের স্ত্রী মার্গারেট ব্রেন্ট উপনিবেশের গভর্নর হিসেবে তার উইল কার্যকর করেন। তিনি উপনিবেশগুলোতে লিঙ্গভিত্তিক সামাজিক নিয়ম ভেঙে দেন, কারণ তিনি ছিলেন ইংরেজ উপনিবেশে প্রথম অ-রাজপরিবারভুক্ত নারী শাসক।
== ম্যাসাচুসেটস বে উপনিবেশ ==
''ম্যাসাচুসেটস বে উপনিবেশ'' আরেকটি কর্পোরেট উপনিবেশ, যা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ইংল্যান্ড থেকে দূরে এমন একটি জায়গা হিসেবে, যেখানে ধর্মীয় ভিন্নমতাবলম্বীরা বসবাস করতে পারতো। পিউরিটানরা ছিল কট্টর প্রোটেস্টান্টদের একটি দল, যারা বাইবেলের মূল ধর্মে ফিরে যাওয়ার দাবি করত। তারা ইংল্যান্ডের রাষ্ট্রীয় চার্চের বিরোধিতা করায় নির্যাতনের শিকার হয় এবং অনেকেই প্রাণ হারায়। ১৬২০ সালে, ৪১ জন পিউরিটান (যারা নিজেদের "তীর্থযাত্রী" বা পিলগ্রিমস বলত) নতুন পৃথিবীর উদ্দেশ্যে যাত্রা করে।
পিলগ্রিমদের সমসাময়িক বিবরণ অনুযায়ী, তাদের মূল পরিকল্পনা ছিল বর্তমানে নিউ ইয়র্কের লং আইল্যান্ডের নিকটে হাডসন নদীর অঞ্চলে উপনিবেশ স্থাপন। কেপ কড দর্শনের পর তারা দক্ষিণ দিকে হাডসন নদীর দিকে যেতে চাইলেও, বিপজ্জনক সমুদ্রের সম্মুখীন হয়ে প্রায় জাহাজডুবির শিকার হয়। ফলে তারা আরেকবার দক্ষিণে যাওয়ার ঝুঁকি না নিয়ে কেপ কডেই ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নেয়। কয়েক সপ্তাহ ধরে উপযুক্ত উপনিবেশ স্থাপনের স্থান খোঁজার পর, মেফ্লাওয়ার জাহাজের যাত্রীরা অবশেষে বর্তমান ম্যাসাচুসেটসে ১৬২০ সালের ২৬ ডিসেম্বর প্লাইমাউথ-এ নোঙর করে। তখনকার সেখানে বসবাসকারী একটি আদিবাসী গোত্রের নামানুসারে তারা এটি "ম্যাসাচুসেটস" নামে অভিহিত করে।
[[File:The Mayflower Compact 1620 cph.3g07155.jpg|thumb|মেফ্লাওয়ারের যাত্রীরা "মেফ্লাওয়ার কম্প্যাক্ট"-এ স্বাক্ষর করছে]]
জন কারভারের মৃত্যুর পর গভর্নর দ্বারা নির্বাচিত উইলিয়াম ব্র্যাডফোর্ড একটি জার্নাল লেখেন, যা উপনিবেশবাসীদের দুঃখ-কষ্ট, আদিবাসীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ এবং পরবর্তীতে উপনিবেশের সাফল্য বোঝার জন্য গুরুত্বপূর্ণ দলিল হিসেবে বিবেচিত। পিলগ্রিমরা নিজেদের শাসনের জন্য মেফ্লাওয়ার কম্প্যাক্ট নামক এক চুক্তির মাধ্যমে একমত হয়, যা মেফ্লাওয়ার জাহাজেই স্বাক্ষরিত হয়। দুই বছর পর, তারা কমপ্যাক্টের অধীনে শুরু করা যৌথ মালিকানাভিত্তিক ব্যবস্থাকে ত্যাগ করে এবং ১৬২৩ সালে প্রতিটি পরিবারকে স্বতন্ত্র জমি ভাগ করে দেয়।
দশ বছর পরে, যৌথ স্টকভিত্তিক ম্যাসাচুসেটস বে কোম্পানি ইংল্যান্ডের রাজা চার্লসের কাছ থেকে একটি সনদ লাভ করে। প্লাইমাউথ উপনিবেশ পরে ম্যাসাচুসেটস বে উপনিবেশের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায়, তবে ১৬৯১ সাল পর্যন্ত এটি আলাদা অবস্থায় ছিল।
পরবর্তীতে, আরও বড় একটি পিলগ্রিম দল নতুন ম্যাসাচুসেটস বে উপনিবেশে অভিবাসন করে। যদিও এটি ইংল্যান্ডের রাষ্ট্রীয় চার্চের অনুসারী ছিল, উপনিবেশটি ধর্মীয় স্বাধীনতা দেয়নি। শুধুমাত্র (পুরুষ) পিউরিটানদের ভোটাধিকার ছিল, সহনশীলতা আইনের মাধ্যমে উপনিবেশে পিউরিটান ধর্মকে সরকারি ধর্ম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা হয় এবং যারা তাদের গির্জায় যেত না, তাদের শাস্তি দেওয়া হতো।
== নিউ ইয়র্ক ==
অন্যান্য দেশসমূহও অনুসন্ধান তহবিল জোগাতে যৌথ-স্টক কোম্পানি ব্যবহার করেছিল। ১৬০৯ সালে ডাচ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি উত্তর আমেরিকার পূর্ব উপকূলে ৩৮ থেকে ৪৫ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ পর্যন্ত বিস্তৃত একটি ভূখণ্ড আবিষ্কার করে। এটি ছিল হালভ মিন ("হাফ মুন") নামক একটি ইয়টের অভিযান, যার নেতৃত্বে ছিলেন হেনরি হাডসন। আদ্রিয়ান ব্লক এবং হেনড্রিক ক্রিস্টিয়ানস্ ১৬১১ থেকে ১৬১৪ সাল পর্যন্ত ঐ অঞ্চলের অনুসন্ধান চালান। ১৬১৪ সালের মার্চ মাসে নেদারল্যান্ডসের শাসন সংস্থা রাজ্য জেনারেল নতুন পৃথিবীতে বাণিজ্যের জন্য একচেটিয়া পেটেন্ট ঘোষণা করে। রাজ্য জেনারেল নিউ নেদারল্যান্ড উন্নয়নের জন্য একটি ব্যক্তিগত বাণিজ্যিক উদ্যোগ হিসেবে পেটেন্ট ইস্যু করে। নদীপথের সুরক্ষা এবং আদিবাসীদের সাথে বাণিজ্যের জন্য বর্তমানে আলবানি এলাকায় দ্রুত ফোর্ট ন্যাসাও নির্মাণ করা হয়। ১৬২৪ সালে নিউ নেদারল্যান্ড ডাচ প্রজাতন্ত্রের একটি প্রদেশে পরিণত হয়। পরবর্তীতে ইংরেজরা কেপ কডের উত্তরে অনুপ্রবেশ করায় উত্তর সীমা ৪২ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশে নামিয়ে আনা হয়।
ল অফ নেশনস অনুযায়ী, কোনো অঞ্চলের দাবি প্রতিষ্ঠা করতে হলে শুধু আবিষ্কার ও মানচিত্র তৈরিই নয়, বসতি স্থাপনও প্রয়োজন ছিল। ১৬২৪ সালের মে মাসে ডাচরা ৩০টি পরিবারকে নটেন এইলান্তে (বর্তমান গভর্নরস আইল্যান্ড) অবতরণ করিয়ে তাদের দাবি পূর্ণতা দেয়।
পরবর্তী কয়েক দশকে অদক্ষ ডিরেক্টর-জেনারেলদের দ্বারা নিউ নেদারল্যান্ড পরিচালিত হয়। উপনিবেশবাসীরা আদিবাসীদের আক্রমণের শিকার হন এবং ব্রিটিশ ও ডাচ সংঘাত উপনিবেশ ধ্বংসের পথে ঠেলে দেয়। কিন্তু ১৬৪৭ সালে পিটার স্টাইভসান্ট ডিরেক্টর-জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর সবকিছু বদলে যায়। উপনিবেশে এসে তিনি বলেছিলেন, “আমি তোমাদেরকে এক পিতার মতো শাসন করব।” তিনি উপনিবেশের সীমানা সম্প্রসারণ করেন। ১৬৫৫ সালে তিনি উত্তর ইউরোপের একমাত্র বসতি নিউ সুইডেন জয় করেন। ১৬৫০ সালে নিউ ইংল্যান্ডের সাথে সীমানা বিরোধ নিষ্পত্তি করেন। তিনি আদিবাসীদের হামলার বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা উন্নত করেন, এবং ১৬৪০ সালে যেখানে জনসংখ্যা ছিল ৫০০, তা ১৬৬৪ সালের মধ্যে বেড়ে দাঁড়ায় ৯,০০০-এ। কিন্তু ১৬৬৪ সালের আগস্ট মাসে চারটি ইংরেজ যুদ্ধজাহাজ নিউ ইয়র্ক বন্দরে এসে উপনিবেশ আত্মসমর্পণের দাবি করে। প্রথমে স্টাইভসান্ট প্রতিরোধ করার শপথ করেন, কিন্তু পর্যাপ্ত গোলাবারুদ ও বারুদের অভাবে এবং উপনিবেশবাসীদের দুর্বল সমর্থনে তিনি আত্মসমর্পণে বাধ্য হন। নিউ নেদারল্যান্ড পরবর্তীতে ব্রিটিশ ইয়র্কের ডিউকের সম্মানে "নিউ ইয়র্ক" নামে পরিচিত হয়।
বাণিজ্যে প্রাধান্য অর্জনের উদ্দেশ্যে ইংরেজরা ১৬৬৪ সালে ডাচদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। তারা আমেরিকার আটলান্টিক উপকূলে ডাচ বন্দর নিউ অ্যামস্টারডাম দখল করে। রাজা দ্বিতীয় চার্লসের ভাই জেমস নিউ অ্যামস্টারডাম এবং এর আশেপাশের ডাচ অঞ্চলগুলোর সনদ লাভ করেন।
১৬৭৩ সালে ডাচরা মিচিয়েল ডি রুইটারের নেতৃত্বে সাময়িকভাবে আবার নিউ নেদারল্যান্ড পুনর্দখল করে, এবং এইবার এর নাম দেয় নিউ অরেঞ্জ। কিন্তু তৃতীয় ইঙ্গ-ডাচ যুদ্ধের শেষে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হলে তারা অঞ্চলটি আবার ইংরেজদের কাছে ফিরিয়ে দেয়।
== অন্যান্য প্রারম্ভিক উপনিবেশে উপনিবেশ স্থাপনের ধরণ ==
ক্যারোলিনা অঞ্চলের নামকরণ করা হয়েছিল ব্রিটিশ রাজা প্রথম চার্লস-এর নামানুসারে, এবং এটি একটি মালিকানাভিত্তিক উপনিবেশ হিসেবে আটজন অভিজাত ব্যক্তিকে প্রদান করা হয়। এই মালিকগণ ক্যারোলিনাকে দুটি পৃথক উপনিবেশে ভাগ করে দেন – ''উত্তর ক্যারোলিনা'' এবং ''দক্ষিণ ক্যারোলিনা''।
চারটি উপনিবেশ ইতিমধ্যেই বিদ্যমান বৃহত্তর ভূখণ্ড থেকে বিভাজনের মাধ্যমে গঠিত হয়েছিল। নিউ হল্যান্ড যখন দখল করে নিউ ইয়র্কে রূপান্তরিত করা হয়, তখন রাজা জেমস ভূখণ্ডের একটি অংশ, বর্তমান ''নিউ জার্সি'', লর্ড বার্কলি ও স্যার জর্জ কার্টারেট-কে প্রদান করেন, এবং বর্তমান নিউ ইয়র্ক নিজের জন্য একটি মালিকানাভিত্তিক উপনিবেশ হিসেবে রাখেন। স্যার জর্জ এসেছিলেন জার্সি দ্বীপপুঞ্জ থেকে, এবং সেই অনুযায়ী নতুন উপনিবেশের নাম রাখা হয়। ভূখণ্ডের আরেকটি অংশ হয়ে ওঠে রাজমুকুট-নিয়ন্ত্রিত উপনিবেশ ''কানেকটিকাট''। এই উপনিবেশের নামকরণ করা হয় সেখানকার আদি ভারতীয় জনগোষ্ঠীর নামানুসারে। ১৭০৪ সালে পেনসিলভানিয়ার একটি কোণ, যেখানে কোয়াকাররা বসবাস করত না, বিচ্ছিন্ন হয়ে ''ডেলাওয়্যার'' উপনিবেশে পরিণত হয়। এর নামকরণ করা হয় টমাস ওয়েস্ট, তৃতীয় ব্যারন ডি লা ওয়্যার-এর নামে, যিনি ছিলেন রানি এলিজাবেথের আমলের একজন অভিজাত এবং খ্যাতিমান অভিযাত্রী।
''রোড আইল্যান্ড'' ছিল ধর্মীয় ও রাজনৈতিক স্বাধীনতার একটি অনন্য পরীক্ষা। রজার উইলিয়ামস যখন প্রচার করতে থাকেন যে যিশু খ্রিস্ট চেয়েছিলেন যাতে গির্জা শাসনক্ষমতা থেকে পৃথক থাকে, তখন ম্যাসাচুসেটস তাকে নির্বাসিত করে। চার্চ অব ইংল্যান্ড এবং পরবর্তীতে পিউরিটানদের বিরোধিতা করা এই ব্যক্তি হন প্রথম আমেরিকান ব্যাপটিস্ট। অন্যান্য উপনিবেশে নানা অভিযানের পর, তিনি নারাগানসেট ভারতীয়দের কাছ থেকে জমি কিনে একটি নতুন বসতি স্থাপন করেন। প্রভিডেন্স গঠিত হয়েছিল ধর্মীয় জটিলতা থেকে মুক্ত একটি উপনিবেশ এবং বিবেকবান মানুষের আশ্রয়স্থল হিসেবে। পরে তার অনুসরণে আসেন অ্যান হাচিনসন। তিনি বোস্টনের ধর্মীয় নেতাদের ক্ষুব্ধ করেছিলেন কারণ তিনি একজন নারী হয়েও প্রচার করতেন, এবং তিনি বিশ্বাস করতেন যে কার্যের সঙ্গে কৃপার সম্পর্ক সবসময় থাকে না, যা পিউরিটান মতবাদের বিরুদ্ধে। তিনিও ভারতীয়দের কাছ থেকে জমি কিনেছিলেন। সেখানে গঠিত হয় ''পোর্টসমাউথ'' নামের বসতি, এবং পরে একটি মতানৈক্যপূর্ণ সহোদর শহর ''নিউপোর্ট''। উপনিবেশটি আংশিকভাবে আকুইডনেক দ্বীপের উপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠে, যা পরবর্তীতে অজানা কারণে রোড আইল্যান্ড নামে পরিচিতি পায়, এবং পুরো উপনিবেশের নাম ওই স্থান থেকে নেওয়া হয়।
''জর্জিয়া'' ছিল আরেকটি মালিকানাভিত্তিক উপনিবেশ, যা রাজা প্রথম জর্জ-এর নামানুসারে নামকরণ করা হয়। ১৭৩২ সালে জেমস ওগলথর্প ও অন্যান্যদের কাছে এর চার্টার প্রদান করা হয়। এটি অন্যান্য উপনিবেশকে ফ্লোরিডার স্প্যানিশ ও লুইজিয়ানার ফরাসিদের আক্রমণ থেকে রক্ষার জন্য একটি "বাফার" উপনিবেশ হিসেবে পরিকল্পিত ছিল। এই কারণে, জর্জিয়া ছিল একমাত্র উপনিবেশ যেটি প্রতিষ্ঠার সময় থেকেই ব্রিটিশ রাজশক্তির আর্থিক সহায়তা পেয়েছিল। তৎকালীন ব্রিটেনে ঋণগ্রস্ত মানুষদের কারাগারে পাঠানো হতো। এই ধরনের অনেক বন্দিকে অতিরিক্ত ভিড়যুক্ত জেল থেকে মুক্ত করে জর্জিয়া উপনিবেশে পাঠানো হয়। তখন আমেরিকাকে ইতিমধ্যে সমৃদ্ধির ভূমি হিসেবে দেখা হচ্ছিল, এবং ওগলথর্প আশা করেছিলেন এই প্রাক্তন বন্দিরা দ্রুত সৎ ও ধনী হয়ে উঠবে। কিন্তু লন্ডনের জেলখানার অধিকাংশ বন্দিই নতুন অজানা বন্য অঞ্চলে টিকে থাকার জ্ঞান রাখত না।
== ব্রিটিশ উপনিবেশগুলোর একটি চিত্র ==
উপনিবেশগুলোকে প্রায়শই তিনটি ভাগে বিবেচনা করা হয়: '''নিউ ইংল্যান্ড''' (নিউ হ্যাম্পশায়ার, ম্যাসাচুসেটস, রোড আইল্যান্ড, কানেকটিকাট), '''দক্ষিণ উপনিবেশসমূহ''' (মেরিল্যান্ড, ভার্জিনিয়া, ক্যারোলিনাসমূহ এবং জর্জিয়া), এবং '''মধ্য উপনিবেশসমূহ''' (নিউ ইয়র্ক, নিউ জার্সি, পেনসিলভানিয়া এবং ডেলাওয়্যার)। কখনও কখনও ক্যারোলিনাসমূহ এবং জর্জিয়া-কে চেসাপিক উপনিবেশ থেকে আলাদাভাবে গণ্য করা হয়।
প্রত্যেকটি গোষ্ঠীর ভৌগোলিক ও অর্থনৈতিক বৈশিষ্ট্য ছিল। নিউ ইংল্যান্ডের পাথুরে মাটি কেবল ছোট খামারের পক্ষে উপযুক্ত ছিল, এবং কৃষিকাজের সুযোগ সীমিত ছিল। ফলে, এই অঞ্চলের লোকেরা অর্থ উপার্জনের জন্য মাছ ধরা, বনজ সম্পদ আহরণ, জাহাজ পরিবহন ও ক্ষুদ্র শিল্পের ওপর নির্ভর করত।<ref>{{cite book |last = Morison |first = Samuel Eliot |coauthors = |title = The Oxford History of the American People |publisher = Mentor |year = 1972 |location = New York City |pages =199–200 |url = |doi = |id = |isbn = 0451-62600-1 }}</ref>
দক্ষিণ উপনিবেশের উর্বর জমি ব্যক্তি মালিকদের দ্বারা দখল হয়, যারা বড় আকারের খামার তৈরি করেছিল যেখানে তামাক এবং পরবর্তীতে তুলা চাষ করা হতো। ক্যারোলিনাসমূহে চিনি, ধান ও নীল গাছও চাষ হতো। ১৭শ শতকে, এসব ফসল খাটিয়ে নেওয়া হতো চুক্তিভিত্তিক শ্রমিকদের দ্বারা—যারা আমেরিকায় আসার জন্য ভাড়ার বিনিময়ে নির্দিষ্ট বছর কাজ করত এবং পরবর্তীতে জমির অধিকার পেত। এদের অনেকেই চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই মারা যেত। ১৬৭৬ সালে চুক্তিভিত্তিক শ্রমিকদের একটি দল বেকনের বিদ্রোহে অংশগ্রহণ করে। এই বিদ্রোহের পর, বৃহৎ খামারগুলো আফ্রিকান ক্রীতদাসদের কাজে লাগাতে শুরু করে। যদিও অনেক চুক্তিভুক্ত শ্বেতাঙ্গ পরবর্তীতে মুক্ত হয়, তারা সামাজিকভাবে নিম্নবর্গেই থেকে যায়, যদিও তারা ক্রমাগত কঠোরতর দাসবিধির আওতায় পড়ত না—এই দাসবিধিগুলো দক্ষিণ উপনিবেশে দাসদের প্রায় সব স্বাধীনতা অস্বীকার করত। আমেরিকান বিপ্লবের সময়, প্রতি পাঁচজন উপনিবেশবাসীর মধ্যে একজন ছিলেন আফ্রিকান দাস। আর দক্ষিণে দাসশ্রমে উৎপন্ন পণ্যই ছিল মধ্য উপনিবেশ ও নিউ ইংল্যান্ডের শহরগুলোর ভোগ ও বাণিজ্যের প্রধান উপকরণ। খুব কম লোকই দাসভিত্তিক অর্থনীতিকে প্রশ্ন করত।
মধ্য উপনিবেশে ছিল মাঝারি আকারের খামার। এসব উপনিবেশে ছিল বিভিন্ন সংস্কৃতি ও বিশ্বাসের মানুষ। এই রাজ্যগুলোতেও চুক্তিভিত্তিক শ্রমিক এবং পরে দাস ব্যবহার করা হতো, কিন্তু দক্ষিণ উপনিবেশের মতো বিশালসংখ্যক দাসশ্রমের ব্যবহার সেখানে দেখা যেত না।
আরেকটি পার্থক্য ছিল ধর্মীয় চর্চায়। নিউ ইংল্যান্ড ছিল মূলত কনগ্রিগেশনালিস্ট, কিছুটা প্রেসবিটারিয়ান এবং নিজেকে ব্যাপটিস্ট দাবি করা ধর্মীয় অসামঞ্জস্যবাদীদের উপস্থিতি ছিল। তারা সবাই ছিলেন ব্রিটিশ গৃহযুদ্ধের পূর্ব ও সময়কার ধর্মীয় ভিন্নমতাবলম্বীদের উত্তরসূরি। দক্ষিণে প্রধানত অ্যাংলিকানরা ছিল, যারা ধর্মীয় ও ধর্মবহির্ভূত ঐতিহ্য ও ছুটির দিনগুলোকে মূল্য দিত। মধ্য উপনিবেশে ছিল হল্যান্ড, জার্মান ভূখণ্ড ও এমনকি বোহেমিয়ার ছোট ছোট জনগোষ্ঠী, যারা নিয়ে এসেছিল ক্যাথলিক ও প্রোটেস্টান্ট বিশ্বাসের বৈচিত্র্য।
যেসব শ্বেতাঙ্গকে ইংরেজ কর্তৃপক্ষ আমেরিকায় পাঠিয়েছিল, তাদের মধ্যে অনেক স্কটস-আইরিশ ছিল, যারা আলস্টার থেকে আগত। এরা ছিল ক্যালভিনবাদী প্রোটেস্টান্ট, যাদের অবস্থান ছিল আইরিশ ক্যাথলিক সংখ্যাগোষ্ঠীর মধ্যে, এবং তারা উভয় পক্ষ ও ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধেই অবস্থান করত। এই সংখ্যালঘু দল অ্যাপালাচিয়ান পর্বতমালা এবং পরে ওহাইও ও মিসিসিপি অঞ্চলের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে বসতি স্থাপন করেছিল। আমেরিকায় তারা ভূমি ও স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষায় সামান্য খরচে উপনিবেশের সীমান্তকে পশ্চিম দিকে প্রসারিত করেছিল, এবং পূর্বাঞ্চলের বসতিগুলো ও স্থানচ্যুত আদিবাসী গোষ্ঠীর মধ্যে একপ্রকার সশস্ত্র সীমানা রক্ষা করেছিল। উপনিবেশিক সীমান্তবাসীদের জীবন ছিল অত্যন্ত কষ্টকর—তারা নিজের হাতে ঘন বনাঞ্চলে শহর ও খামার গড়ে তুলত, দারিদ্র্য ও আদিবাসী আক্রমণের মুখোমুখি হয়ে।
প্রত্যেকটি উপনিবেশ স্থানীয় ধর্মবিশ্বাস ও সামর্থ্য অনুযায়ী শিক্ষাদান ও বিনোদনের নিজস্ব ক্ষেত্র গড়ে তোলে। দক্ষিণাঞ্চলের সংস্কৃতিতে সংগীতনাট্যে আগ্রহ দেখা যায়, যার কেন্দ্র ছিল চার্লসটন, সাউথ ক্যারোলিনা এবং উইলিয়ামসবার্গ, ভার্জিনিয়া। ১৭৫০ সালে নিউ ইয়র্ক সিটিতে শেক্সপিয়ারের "রিচার্ড তৃতীয়" নাটকের একটি পেশাদার পরিবেশনা হয়, যা ছিল আমেরিকায় শেক্সপিয়ারের প্রথম পেশাদার নাট্য পরিবেশনা। প্রচারক, বক্তা ও গায়করা উপনিবেশবাসীদের বিনোদন দিতেন।
তাদের মধ্যে পার্থক্যের চেয়ে মিলই ছিল বেশি। তিনটি অঞ্চলেই জনসংখ্যা প্রধানত ব্রিটিশ দ্বীপপুঞ্জ থেকে আগত। প্রত্যেকটির সড়কব্যবস্থা ছিল অত্যন্ত খারাপ, এবং আটলান্টিক মহাসাগরের মাধ্যমে তারা পরিবহণের সংযোগ রাখত। এরা সবাই আটলান্টিক অর্থনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিল। আটলান্টিক অঞ্চলের বণিকেরা জাহাজে করে আমেরিকা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ইউরোপ এবং আফ্রিকার মধ্যে দাস, তামাক, রাম, চিনি, সোনা, রূপা, মসলা, মাছ, কাঠ এবং প্রস্তুত পণ্য আদান-প্রদান করত।<ref>{{cite book|title=Cod: A Biography of the Fish That Changed the World|last=Kurlansky|first=Mark|publisher=New York: Walker|isbn=0-8027-1326-2}}</ref> নিউ ইয়র্ক, ফিলাডেলফিয়া, বোস্টন ও চার্লসটন ছিল সে সময়ের বৃহত্তম শহর এবং প্রধান বন্দর।<ref>{{cite web| url= http://www.census.gov/population/www/documentation/twps0027/tab02.txt| title= Earliest Population Figures for American Cities | author= U.S. Census Bureau|accessdate=2010-08-29}}</ref>
== প্রাথমিক প্রযুক্তি ==
প্রথম দফার উপনিবেশকারীরা খেটে খাওয়া শ্রমের মাধ্যমে তাদের খামার চাষ করতেন এবং কুমারশিল্প ও চামড়া ট্যানিংয়ের মতো ভূমিভিত্তিক হস্তশিল্প গড়ে তুলেছিলেন। পরবর্তী সময়ে জাহাজে করে গরু ও ঘোড়া আনা হলে খসড়া প্রাণী অর্থনীতির অংশ হয়ে ওঠে। চুক্তিভিত্তিক শ্রমিক এবং পরে আফ্রিকা থেকে অপহৃত দাসদের আমদানি করা হয়। তখনই বৃহৎ আকারের প্ল্যান্টেশন স্থাপিত হতে শুরু করে। অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষভাগে ছোট পরিসরে যন্ত্রনির্ভর উৎপাদনশিল্প দেখা দেয়। লোকজন কয়লা ও লৌহ আকরিক খনন শুরু করে। নিউ ইংল্যান্ড ওই আকরিক ব্যবহার করে নির্মাণ সরঞ্জাম ও ঘোড়ার নাল তৈরি করতে শুরু করে। দক্ষিণের তুলার ওপর নির্ভরশীল একটি নতুন বস্ত্রশিল্প গড়ে ওঠে। কাঠ বা কয়লা দ্বারা চালিত এবং শক্তিশালী ধাতুর চাহিদায় পরিচালিত গৃহস্থালির ধাতুকর্মে লোহা গলানোর নতুন কৌশল উদ্ভাবিত হয়। লোহার কাজ করা কারিগর ও টিনশিল্পীরা বড় বসতিগুলোর অংশ হয়ে ওঠে। উপনিবেশগুলো যান্ত্রিক ঘড়ি, আগ্নেয়াস্ত্র এবং ছাপাখানার জন্য সীসা টাইপ তৈরি করতে শুরু করে।
<gallery mode="packed" heights="150px">
File:The Francis Skerry Beaker, Jeremiah Dummer, American, c. 1670, silver - Fogg Art Museum, Harvard University - DSC01384.jpg|১৬৭০ সালের কাছাকাছি সময়ে আমেরিকায় জন্মগ্রহণকারী প্রথম রূপকার [[w:Jeremiah Dummer (silversmith)|জেরেমায়া ডামার]] নির্মিত একটি রূপার বীকার।
File:First Slave Auction 1655 Howard Pyle.jpg|১৬৫৫ সালে নিউ আমস্টারডামে অনুষ্ঠিত প্রথম দাস নিলামের চিত্র। (১৮৯৫ সালের চিত্রাঙ্কন)
File:WestFrontMansionMountVernon.jpg|মাউন্ট ভারন প্ল্যান্টেশন, নির্মিত ১৭৫৮ সালে। যখন জর্জ ওয়াশিংটন ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেন, তখনও তিনি তার নিজের দাসদের ধরে রেখেছিলেন, যারা নিজেরাও স্বাধীনতার অভাবে অসন্তুষ্ট ছিলেন।<ref>{{cite web |title=Resistance and Punishment |url=https://www.mountvernon.org/george-washington/slavery/resistance-and-punishment/ |website=George Washington's Mount Vernon |accessdate=19 September 2020 |language=en}}</ref>
File:Parkman Tavern, Concord MA.jpg|[[w:Parkman Tavern|পার্কম্যান ট্যাভার্ন]], কনকর্ড, ম্যাসাচুসেটস-এ ১৬৫৯ সালে নির্মিত।
</gallery>
== বাণিজ্যনৈতিক মতবাদ, সহনশীল অবহেলা ও ব্রিটিশ হস্তক্ষেপ ==
আমেরিকান উপনিবেশগুলো, যারা সমুদ্র দিয়ে বিচ্ছিন্ন একেবারে নতুন সমাজ ছিল, বিশ্বাস করত যে তাদের নিজেদের শাসনের অধিকার রয়েছে। এই বিশ্বাসকে উৎসাহিত করেছিল ব্রিটেনের গৌরবময় বিপ্লব এবং ১৬৮৯ সালের অধিকার বিল, যা পার্লামেন্টকে সর্বোচ্চ শাসনক্ষমতা দেয়। '''সহনশীল অবহেলার''' নামে পরিচিত অপেক্ষাকৃত শিথিল নিয়ন্ত্রণের এই নীতির অবসান ঘটে ব্রিটিশ নিয়ন্ত্রণ বৃদ্ধি পাওয়ার মাধ্যমে, যা বাণিজ্যনৈতিক মতবাদের প্রভাবে এবং লর্ডস অফ ট্রেড ও পরবর্তী ন্যাভিগেশন আইনগুলোর মাধ্যমে প্রতিফলিত হয়।
=== বাণিজ্যনৈতিক মতবাদ ===
পার্লামেন্ট, '''বাণিজ্যনৈতিক মতবাদ''' নামক অর্থনৈতিক নীতির অনুসরণে, উপনিবেশগুলোর বাণিজ্যের ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করে। এই মতবাদের মূল ধারণা ছিল—একটি জাতির অর্থনৈতিক শক্তি নির্ভর করে তার রপ্তানি পণ্যের মূল্যের ওপর। একটি দেশ তার উপনিবেশগুলোর মাধ্যমে কাঁচামালের পরিবর্তে প্রস্তুত পণ্য উৎপাদন করতে পারে। এই পণ্যগুলো অন্যান্য দেশের সঙ্গে বিনিময় করে উপনিবেশকারী দেশের শক্তি বাড়ানো সম্ভব। এই নীতির প্রবর্তক ছিলেন ফরাসি অর্থনীতিবিদ জঁ-বাতিস্ত কোলবে। এটি ব্রিটেনের জন্য অত্যন্ত উপযোগী মনে করা হয়। স্পেনের অর্থনৈতিক ভিত্তি ছিল আমেরিকান সোনা, আর ফ্রান্সের ছিল আমেরিকান পশম। ইংল্যান্ডের কাছে সোনা বা পশম ছিল না, তবে তাদের ছিল আমেরিকান তুলা, মলাসেস (আখের গুড়), তামাক, এবং উন্নত মানের জাহাজ। ১৭০০ শতকের মধ্যভাগ পর্যন্ত উপনিবেশগুলো “সহনশীল অবহেলা”-এর দীর্ঘ সময় উপভোগ করেছিল, যেখানে ব্রিটিশরা প্রায়ই উপনিবেশগুলিকে নিজেদের মতো করে পরিচালনা করতে দিত। এখন সেই সময় শেষ হয়।
=== লর্ডস অফ ট্রেড ===
বাণিজ্যনৈতিক নীতিগুলো কার্যকর করার প্রয়াসে রাজা দ্বিতীয় চার্লস প্রিভি কাউন্সিলের একটি নতুন কমিটি হিসেবে '''লর্ডস অফ ট্রেড''' গঠন করেন। এই লর্ডরা উপনিবেশগুলোর শাসন ইংরেজদের পক্ষে উপযোগী করার চেষ্টা করেন, উপনিবেশবাসীদের পক্ষে নয়।
লর্ডস অফ ট্রেড চেয়েছিল সমস্ত আমেরিকান উপনিবেশকে রাজকীয় উপনিবেশে রূপান্তর করতে, যাতে মুকুটের শক্তি বাড়ানো যায়। রাজা দ্বিতীয় জেমস-এর শাসনকালে (দ্বিতীয় চার্লসের উত্তরসূরি), নিউ ইয়র্ক, নিউ জার্সি এবং পুরিটান উপনিবেশগুলোকে একত্র করে ১৬৮৭ সালে “ডমিনিয়ন অব নিউ ইংল্যান্ড” গঠন করা হয়।
তবে এই ডমিনিয়ন অল্পদিন টিকে ছিল। দ্বিতীয় জেমস ছিলেন ক্যাথলিক, আর ব্রিটিশ প্রোটেস্টান্টরা তাকে হুমকি মনে করত। গৌরবময় বিপ্লবে (১৬৮৮) তাকে সিংহাসনচ্যুত করা হয় (পার্লামেন্ট তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে সিংহাসন ত্যাগ করানো হয়েছে বলে ধরে নেয়)। ১৬৮৯ সালে জেমসের কন্যা মেরি দ্বিতীয় ও তার স্বামী উইলিয়াম তৃতীয় যুগ্মভাবে সিংহাসনে বসেন। তবে প্রকৃত ক্ষমতা ছিল ব্রিটিশ পার্লামেন্টের হাতে। ডমিনিয়ন অব নিউ ইংল্যান্ড বিলুপ্ত হয়, পৃথক উপনিবেশগুলো পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয় এবং লর্ডস অফ ট্রেড বিলুপ্ত হয় (এর পরিবর্তে কেবল উপদেষ্টা ভিত্তিক একটি বোর্ড অফ ট্রেড গঠিত হয়)।
=== ন্যাভিগেশন আইনসমূহ ===
১৬৬০ সাল থেকে ইংল্যান্ডের পার্লামেন্ট '''ন্যাভিগেশন আইনসমূহ''' প্রণয়ন করতে থাকে, যাতে তারা তাদের উপনিবেশ থেকে বেশি লাভ তুলতে পারে। এসব আইনের অধীনে নির্ধারিত হয় যে যেকোনো উপনিবেশিক আমদানি-রপ্তানি কেবলমাত্র ইংল্যান্ডে নিবন্ধিত জাহাজে পরিবাহিত হতে পারবে—মানে শুধুমাত্র ইংল্যান্ডই শিপিং-এর ক্ষমতা ও এর থেকে আসা মুনাফা ভোগ করবে। তামাক ও চিনি রপ্তানি শুধুমাত্র ইংল্যান্ডে করা যাবে, অন্য কোনো দেশে নয়। (তখন তামাক ও চিনি দুটোই ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হতো—চিনির দ্বারা অ্যালকোহল তৈরি করা হতো যা ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হতো)। এবং উপনিবেশগুলো কোনো বিদেশি নির্মিত পণ্য আমদানি করতে পারত না, যদি না সেগুলো প্রথমে ইংল্যান্ডে নিয়ে যাওয়া হতো, সেখানে শুল্ক পরিশোধ করা হতো, তারপর সেগুলো উপনিবেশে পাঠানো হতো।
১৭৩০-এর দশকে, সুগার অ্যাক্ট অনুযায়ী উপনিবেশগুলোতে আমদানি হওয়া প্রতি গ্যালন চিনি বা মলাসেসের ওপর ছয় পেন্স কর আরোপ করা হয়। ১৭৫০ সালের মধ্যে পার্লামেন্ট আরও অনেক পণ্যের ওপর নিষেধাজ্ঞা, নিয়ন্ত্রণ বা কর আরোপ করতে শুরু করে। তারা উপনিবেশে সমস্ত ধরনের উৎপাদন ঠেকাতে চায়। এই নীতিগুলো উপনিবেশবাসীদের মধ্যে প্রবল ক্ষোভ সৃষ্টি করে, যদিও ইউরোপের অন্যান্য রাজতন্ত্রের প্রজাদের তুলনায় তাদের করভার তুলনামূলকভাবে কম ছিল।
উপনিবেশবাসীরা ন্যাভিগেশন আইনগুলোকে ঘৃণা করত, কারণ তারা বিশ্বাস করত যে নিজেরা বাণিজ্য করতে পারলে আরও সমৃদ্ধ ও ধনী হতে পারত। তারা আরও বিশ্বাস করত যে কিছু গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ ইংল্যান্ডে পাওয়া যায় না।
== ১৭০০-এর দশকে আদিবাসীরা ==
গ্রেট প্লেইন্স-এর আদিবাসীরা:
আজকের দিনে, যেই অঞ্চল জুড়ে গ্রেট প্লেইন্স-এর সমস্ত আদিবাসীরা বাস করতেন, তা রকি পর্বতমালা থেকে মিসিসিপি নদী পর্যন্ত বিস্তৃত। ১৭০০-এর দশকে, প্রায় ৩০টি গোত্র এই গ্রেট প্লেইন্স অঞ্চলে বসবাস করত। এই গোত্রগুলো মূলত খাদ্য এবং দৈনন্দিন অন্যান্য প্রয়োজনীয়তার জন্য মহিষের ওপর নির্ভর করত। আদিবাসীরা—বিশেষ করে নারীরা—তাদের পোশাক মহিষের চামড়া দিয়ে তৈরি করতেন, তবে তারা হরিণের চামড়াও ব্যবহার করতেন। নারীরা মৃত হরিণ বা মহিষের চামড়া জলে ভিজিয়ে রাখতেন এবং এরপর তার লোম চেঁছে ফেলতেন।<ref name="englar">Englar, Mary. The Great Plains Indians: Daily Life in the 1700s. Mankato, MN: Capstone, 2006. Print.</ref>
তদ্ব্যতীত, আদিবাসী গোত্রগুলো একে অপরের সঙ্গে বাণিজ্য করত। একজন ব্যক্তির কাছে যত বেশি ঘোড়া থাকত, তাকে তত বেশি ধনী বলে মনে করা হতো; আদিবাসীরা তাদের ঘোড়ার বিনিময়ে খাদ্য, যন্ত্রপাতি, অস্ত্র (যেমন বন্দুক), এবং পশুচর্ম বিনিময় করত। যেহেতু বিভিন্ন গোত্রের ভাষা একে অপরের থেকে ভিন্ন ছিল, তাই তারা পারস্পরিক বাণিজ্যের সময় সাঙ্কেতিক ভাষা ব্যবহার করত।<ref name="englar" />
== ফিলাডেলফিয়া নির্বাচনী দাঙ্গা ==
১৭৪২ সালে নির্বাচনের দিনে ফিলাডেলফিয়ায় একটি দাঙ্গা শুরু হয়, যার কারণ ছিল অ্যাঙ্গলিকান জনগণের কোয়াকার সংখ্যাগোষ্ঠীর সঙ্গে মতবিরোধ। এই দাঙ্গার মূল কারণ ছিল অ্যাঙ্গলিকান ও কোয়াকার জনগণের মধ্যে ক্ষমতার দ্বন্দ্ব। কোয়াকাররা ফিলাডেলফিয়ায় দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক আধিপত্য বজায় রেখেছিল। জার্মান জনগণ কোয়াকারদের ভোটকে সমর্থন করেছিল, কারণ কোয়াকার অহিংস নীতির ফলে কর বাড়ার সম্ভাবনা এবং শেষ পর্যন্ত বাধ্যতামূলক সৈন্যভর্তির আশঙ্কা কমে যেত। নির্বাচনের দিনে অ্যাঙ্গলিকান ও নাবিকেরা কোয়াকার এবং জার্মানদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। কোয়াকাররা কোর্টহাউসে আশ্রয় নিতে সক্ষম হয় এবং নির্বাচন সম্পন্ন করে। অ্যাঙ্গলিকান দল নির্বাচনে পরাজিত হয় এবং দাঙ্গার পর ৫৪ জন নাবিককে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়।
== শিক্ষা ==
১৭০০-এর দশকে উপনিবেশগুলোর তিনটি অঞ্চল ভিন্ন ভিন্ন আগ্রহসম্পন্ন জনগোষ্ঠী নিয়ে গঠিত ছিল, ফলে তারা তাদের শিশুদের জন্য ভিন্নধর্মী শিক্ষা প্রদান করত। যদিও কিছু সাধারণ বৈশিষ্ট্য ছিল — তিন অঞ্চলের যে কোনো ধনী পরিবার তাদের পুত্রকে ইউরোপে পড়তে পাঠাতে পারত — তবুও বিভিন্ন উপনিবেশে শিক্ষাদানের ধরণে পার্থক্য দেখা যেত।
নিউ ইংল্যান্ডে শিক্ষার উদ্দেশ্য ছিল সামাজিক ও ধর্মীয় উভয়ই। একজন সুশীল নাগরিককে অবশ্যই বাইবেল জানতে হতো। ১৬৪৭ সালের ম্যাসাচুসেটস জেনারেল স্কুল আইন বলেছিল, যদি কোনো অঞ্চলে ৫০টির বেশি পরিবার বসবাস করে, তবে একজন স্কুলশিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে। এই আইনের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছিল: "সেই পুরাতন প্রতারক, শয়তানের অন্যতম প্রধান কৌশল হলো মানুষকে বাইবেলের জ্ঞান থেকে দূরে রাখা, যেমন পূর্বকালে অজানা ভাষায় বাইবেল রেখে আর বর্তমানে ভাষা ব্যবহারে নিরুৎসাহিত করে; যাতে মূল বক্তব্য বিভিন্ন মিথ্যা ব্যাখ্যা ও সান্ত-সদৃশ প্রতারকদের দ্বারা বিকৃত হয়; এবং যেন শিক্ষা আমাদের পূর্বপুরুষদের কবরে চাপা না পড়ে, গির্জা ও রাষ্ট্রে তা টিকে থাকে, প্রভুর সহায়তায় আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।" এটি ছিল পিলগ্রিমদের নীতিমালা, যা তারা স্বৈরাচারীদের চাপিয়ে দেওয়া অজ্ঞতার বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠা করেছিল। ছেলে ও মেয়েরা প্রায়শই তাদের বাবা-মায়ের কাছেই বাইবেল পড়তে শিখত, সম্ভবত একটি "হর্নবুক" ব্যবহার করে — এক ধরণের বর্ণমালা ও শব্দতালিকা পাতা, যেটি শিং দিয়ে মোড়ানো থাকত।
শুধু বাইবেল পড়তে পারলেই চলবে না, একজন খ্রিস্টানকে অবশ্যই তার সমাজে শাসন করতে পারতে হবে। (''তার'' সমাজে: কারণ সরকার পরিচালনা ছিল ধার্মিক, সম্পত্তিধারী পুরুষদের অধিকার, নারীদের নয়।) এই উদ্দেশ্যে তরুণদের ক্লাসিক্যাল শিক্ষা — মূলত লাতিনভিত্তিক — অর্জন করতে হতো। ১৬৪৭ সালের আইন ছিল আমেরিকান গ্রামার স্কুলের সূচনা, যা শুরুতে লাতিন পড়াত, পরে এতে নেভিগেশন, প্রকৌশল, হিসাবরক্ষণ, ও বিদেশি ভাষার মতো ব্যবহারিক বিষয় যুক্ত হয়।<ref>A People and a Nation, Eighth Edition</ref> উপনিবেশিক যুগে খোলা বেশিরভাগ স্কুল ছিল ব্যক্তিমালিকানাধীন।<ref>http://www.excite.com/education/education/history-of-american-education</ref> তবে এর আগে ছিল প্রথম সরকার-সমর্থিত বিদ্যালয়, ১৬৩৫ সালে প্রতিষ্ঠিত বোস্টন লাতিন স্কুল। এর পাঠ্যক্রম ছিল কঠোর, ফলে ছাত্রসংখ্যা ছিল কম। হার্ভার্ড ছিল আমেরিকার প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়, ১৬৩৬ সালে প্রতিষ্ঠিত, মূলত প্রোটেস্টান্ট ধর্মযাজকদের প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্যে। ক্লাসিক্যাল পাঠ্যক্রম থেকে স্নাতকের সংখ্যা খুবই কম ছিল, ফলে উপস্থিতিও ছিল কম। কেউ কেউ সরাসরি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতো, কেউ ১৪ বা ১৫ বছর বয়সেই হার্ভার্ডে ঢুকত। কটন ম্যাথার ১৫ বছর বয়সে হার্ভার্ড থেকে স্নাতক হয়েছিলেন, যা ছিল তার অস্বাভাবিক প্রতিভার কারণে ব্যতিক্রম। ব্যক্তিগত স্কুলে ছেলে ও মেয়েরা হাতের লেখা, মৌলিক গণিত, ইংরেজি পড়া ও লেখা শিখত। এরপর তারা বিভিন্ন পেশায় শিক্ষানবিশ হিসেবে প্রবেশ করত। যারা গৃহপরিচারিকা হতো না, তারা গৃহস্থালি কাজের জন্য প্রশিক্ষিত হতো — সূচিশিল্প, রান্না, এবং কয়েকদিন ধরে কাপড় ধোয়ার মতো কাজ শেখানো হতো।
নিউ ইংল্যান্ডের মতো, মধ্য উপনিবেশগুলোতেও বেসরকারি স্কুল ছিল, যেখানে পড়া ও লেখা শেখানো হতো। তবে মৌলিক শিক্ষা সেখানে আরও দুর্লভ ছিল। পশ্চিমে যত দূরে কেউ বাস করত, স্কুলে যাওয়া কিংবা পড়তে ও লিখতে শেখার সম্ভাবনা ততই কম হতো। জাতিগত ও ধর্মীয় উপগোষ্ঠীগুলো নিজেদের শিশুদের জন্য নিজেদের নিয়মে বেসরকারি স্কুল চালাত। কোনো উপনিবেশেই উচ্চশিক্ষা নিশ্চিত ছিল না। মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলো বড় শহর — যেমন বোস্টন, নিউ ইয়র্ক, ফিলাডেলফিয়া ও চার্লসটন — ছাড়া খুবই বিরল ছিল।<ref>A People and a Nation Eighth Edition</ref>
চেসাপিক অঞ্চলের অভিজ্ঞতা ছিল একেবারেই ভিন্ন। শিশুদের পড়তে ও লিখতে পারার পূর্বশর্ত ছিল, তাদের বাবা-মাও যদি তা পারেন।<ref>A People and a Nation Eighth Edition</ref> দক্ষিণে বিপ্লবী যুগ পর্যন্ত খুব কম সংখ্যক স্কুল ছিল, যেকোনো ধরণেরই হোক না কেন। ধনী পরিবারের শিশুরা ব্যক্তিগত শিক্ষকের অধীনে পড়াশোনা করত। ধনী মেয়েরা 'নারীসুলভ শিল্পকলায়' শিক্ষিত হতো, তবে তাদের পাঠ্যক্রম ভাইদের মতো হতো না। মার্থা ওয়াশিংটনের নাতনি এলিজা কাস্টিস তার সৎপিতার বিদ্রূপের কথা বলেছিলেন, যখন তিনি বলেছিলেন "[আমার] দুঃখ লেগেছিল, তারা আমাকে গ্রিক ও লাতিন শেখাতে চায়নি, কারণ আমি মেয়ে — তারা হাসল এবং বলল, মেয়েদের এসব জানার দরকার নেই, সেলাই, লেখা, অঙ্ক এবং সংগীতই যথেষ্ট।"<ref>Edmund S. Morgan. Virginians At Home: Family Life in the Eighteenth Century. Charlottesville, VA: Dominion Books, 1962(1952). P. 17</ref> মধ্যবিত্ত শিশুরা বাবা-মায়ের কাছেই পড়া শিখত, আর গরিব শিশুদের অনেকেই, বিশেষ করে কৃষ্ণাঙ্গ শিশুরা, কোনো শিক্ষাই পেত না। দক্ষিণে স্বাক্ষরতার হার উত্তরাঞ্চলের তুলনায় কম ছিল, যা উনবিংশ শতাব্দী পর্যন্ত বজায় ছিল।<ref>A People and a Nation, Eighth Edition</ref>
[[File:Harvard Old College.jpg|thumb|১৬৩৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হার্ভার্ড যুক্তরাষ্ট্রের সর্বপ্রথম উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান।]]
১৬৯৩ সালে কলেজ অব উইলিয়াম অ্যান্ড ম্যারি প্রতিষ্ঠিত হয়, যা ছিল ভার্জিনিয়ার প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়। ১৮ শতক গড়িয়ে এলে এটি ধর্মতত্ত্বের বদলে আইনশাস্ত্রে বিশেষীকরণ শুরু করে।<ref>Morgan, p. 27.</ref> ১৭০১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ''Collegiate College''। ১৭১৮ সালে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির ওয়েলশ গভর্নর এলিহু ইয়েলের অনুদানে এর নাম হয় ইয়েল কলেজ। পরে আরও কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় গঠিত হয়, যার মধ্যে ১৭৪৭ সালের প্রিন্সটন অন্যতম। ১৮ শতকে কলেজের পাঠ্যক্রমে জ্যোতির্বিজ্ঞান, পদার্থবিজ্ঞান, আধুনিক ইতিহাস ও রাজনীতি বিষয়গুলো গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। কিছু কলেজ ১৮ শতকে নেটিভ আমেরিকান ছাত্রদের ভর্তি করার চেষ্টা করলেও আফ্রিকান-আমেরিকানদের ভর্তি করা হতো না।<ref>A People and a Nation, Eighth Edition</ref>
১৬৪০ সালে ''The whole Booke of Psalms Faithfully Translated into English Metre'', যা সাধারণভাবে বেই পসাল্ম বুক নামে পরিচিত, ক্যামব্রিজ, ম্যাসাচুসেটসে মুদ্রিত হয়। এটি ছিল নতুন পৃথিবীতে (নর্থ আমেরিকায়) লেখা প্রথম বই। এই বিখ্যাত ও প্রভাবশালী সঙ্গীতবইটির পর নিউ ইংল্যান্ডে একটি পূর্ণাঙ্গ প্রকাশনা শিল্প গড়ে ওঠে। ১৬৮৭ সালের কিছু পর ''New England Primer'' প্রকাশিত হয়, যা শিশুদের পড়া ও বানানের সহায়ক হিসেবে ব্যবহৃত হতো।
একটি বিকল্প শিক্ষাপদ্ধতি দেখা যায় বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিনের প্রতিষ্ঠিত আমেরিকান অ্যাকাডেমিতে, যা ১৭৫১ সালে ফিলাডেলফিয়ায় গঠিত হয়। এই প্রতিষ্ঠানটি আধুনিক আমেরিকান হাই স্কুলের কাছাকাছি একটি মডেল ছিল, যেখানে পেশাগত শিক্ষা দেওয়া হতো। এ ধরণের স্কুল পরে ক্লাসিক্যাল সেকেন্ডারি স্কুলের সংখ্যাকে ছাড়িয়ে যায়। তবে ফ্রাঙ্কলিনের অ্যাকাডেমিও ছিল ব্যক্তিমালিকানাধীন, ফলে এ শিক্ষালাভ সম্ভব ছিল কেবল অর্থবিত্তশালীদের জন্য।
এই সময়কালে উপনিবেশবাসীরা নেটিভ আমেরিকানদের খ্রিস্টধর্মে ধর্মান্তরিত করার চেষ্টা চালায়।<ref>http://www.encyclopedia.com/doc/1G2-2536600517.html</ref>
== পুনঃমূল্যায়ন প্রশ্নাবলী ==
১. নিচের উপনিবেশগুলোর মধ্যে একটি নির্বাচন করুন: নিউ ইয়র্ক, ভার্জিনিয়া, ম্যাসাচুসেটস, জর্জিয়া। এটি উপনিবেশের কোন তিনটি অঞ্চলের মধ্যে অবস্থিত? কেন এবং কীভাবে এটি শুরুতে উপনিবেশিকৃত হয়েছিল? এর অভিবাসী ও তাদের অনুসৃত ধর্ম কিভাবে ওই অঞ্চলের ওপর প্রভাব ফেলেছিল?
২. ব্রিটিশরা কেন উপনিবেশগুলোর সঙ্গে হস্তক্ষেপ করেছিল?
==উৎসসমূহ==
{{reflist}} {{chapnav|Exploration|Road to Revolution}} {{status|100%}} {{BookCat}}
9n2ogwur3axv6doi8t0tj2dx5hgzah5
84817
84816
2025-06-18T09:31:51Z
Mehedi Abedin
7113
84817
wikitext
text/x-wiki
== উপনিবেশ স্থাপনের ধরণ ==
রেনেসাঁ যুগে গ্রেট ব্রিটেনের দ্বীপগুলোতে ব্যাপক পরিবর্তন আসে, যার ফলে ইংল্যান্ডের চার্চ প্রতিষ্ঠিত হয়, ব্রিটিশ গৃহযুদ্ধ সংঘটিত হয় এবং অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও আইনগত ব্যবস্থার সম্পূর্ণ রূপান্তর ঘটে। তবুও এই সময়কালে, অন্যান্য জাতি এবং আমেরিকার নিজস্ব আদিবাসীদের চাপ সত্ত্বেও, ইংরেজদের একটি বৈচিত্র্যময় উপনিবেশ গড়ে ওঠে এবং সফল হয়।
এই নতুন উপনিবেশগুলো তিনটি ভিন্ন উপায়ে অর্থায়িত হয়েছিল। একটি পদ্ধতিতে, '''কর্পোরেট উপনিবেশ''' যৌথ স্টক কোম্পানির মাধ্যমে স্থাপিত হতো। যৌথ স্টক কোম্পানি এমন একটি প্রকল্প যেখানে লোকেরা একটি নতুন উপনিবেশ গড়ে তুলতে শেয়ার কিনে বিনিয়োগ করত। উপনিবেশটির সফলতার ওপর ভিত্তি করে, প্রতিটি বিনিয়োগকারী তার ক্রয়কৃত শেয়ারের অনুপাতে লাভ পেত। এই বিনিয়োগ সম্পূর্ণভাবে নিজে উপনিবেশ শুরু করার চেয়ে কম ঝুঁকিপূর্ণ ছিল এবং প্রতিটি বিনিয়োগকারী উপনিবেশ পরিচালনায় প্রভাব ফেলতে পারত। তারা প্রায়ই নিজেদের জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করত। (অন্য মহাদেশে একটি যৌথ স্টক কোম্পানির উদাহরণ হলো ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি)। ভার্জিনিয়ায় এইভাবে বসতি স্থাপন করা হয়েছিল।
'''প্রোপ্রাইটারি উপনিবেশ''' ছিল কোনো ব্যক্তি বা পরিবারের মালিকানাধীন, যারা তাদের ইচ্ছামতো আইন প্রণয়ন ও কর্মকর্তাদের নিয়োগ করত। এই মালিকানার কারণেই উন্নয়ন সরাসরি সংঘটিত হতো। চার্লস দ্বিতীয় উইলিয়াম পেনকে বর্তমান পেনসিলভেনিয়া অঞ্চলটি প্রদান করেন। পেনের নতুন উপনিবেশ কোয়াকারদের আশ্রয় দেয়, যারা ছিল সহস্রাব্দবাদী প্রোটেস্ট্যান্টদের একটি দল হিসেবে ইংল্যান্ডের চার্চের বিরোধিতা করত। (কোয়াকারদের মন্ত্রী থাকত না এবং তারা ধর্মীয় বা নাগরিক বৈষম্যকে মানত না, যা তাদের শ্রেণিভিত্তিক সমাজে বিপজ্জনক উপাদান করে তুলেছিল)। পেন ছিলেন একজন স্পষ্টবাদী কোয়াকার এবং তিনি কোয়াকার বিশ্বাস রক্ষায় অনেক প্রচারপত্র লিখেছিলেন। তিনি অন্যান্য দেশ ও প্রোটেস্ট্যান্ট সংখ্যালঘুদের—এমনকি কিছু ক্যাথলিককেও—উপনিবেশে আসতে আমন্ত্রণ জানান।
সবশেষে, '''রাজকীয় উপনিবেশ''' ছিল রাজা কর্তৃক সরাসরি নিয়ন্ত্রিত এবং সেখানে রাজার নিযুক্ত রাজ্যপাল থাকত। তবে রেজাল্টিং সেটেলমেন্ট বা গঠিত উপনিবেশগুলো সবসময় ইংল্যান্ডের অনুরূপ ছিল না। উদাহরণস্বরূপ, অষ্টম হেনরির শাসনকালে ইংল্যান্ড ক্যাথলিক ধর্ম থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছিল এবং পুরাতন বিশ্বাসকে শুধু ধর্মীয় ভ্রান্তি নয়, বরং বিদেশি আধিপত্যের পূর্বাভাস হিসেবে দেখা হতো। তবুও, মেরিল্যান্ডে ক্যাথলিকদের প্রতি সহনশীলতা ব্রিটিশ মুকুটের পক্ষ থেকে একটি অনুগ্রহ হিসেবে দেওয়া হয়েছিল। ১৬৩৪ সালে লর্ড বাল্টিমোর ইংল্যান্ডের জর্জ ক্যালভার্টকে ভার্জিনিয়ার উত্তরে ও পেনসিলভেনিয়ার দক্ষিণে একটি সরু ভূমি অঞ্চলে একটি ক্যাথলিক উপনিবেশ স্থাপন করার জন্য নিয়োগ দেন রাজকীয় সনদের মাধ্যমে। পনেরো বছর পরে, ১৬৪৯ সালে, তিনি সহনশীলতা আইনে স্বাক্ষর করেন, যা উপনিবেশবাসীদের জন্য ধর্মীয় স্বাধীনতা ঘোষণা করে। মূল সনদ সত্ত্বেও পরে প্রোটেস্ট্যান্টরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ ধর্মে পরিণত হয়। লর্ড বাল্টিমোরের মৃত্যুর কয়েক বছর পর, মেরিল্যান্ডের একজন বিশিষ্ট জমিদারের স্ত্রী মার্গারেট ব্রেন্ট উপনিবেশের গভর্নর হিসেবে তার উইল কার্যকর করেন। তিনি উপনিবেশগুলোতে লিঙ্গভিত্তিক সামাজিক নিয়ম ভেঙে দেন, কারণ তিনি ছিলেন ইংরেজ উপনিবেশে প্রথম অ-রাজপরিবারভুক্ত নারী শাসক।
== ম্যাসাচুসেটস বে উপনিবেশ ==
''ম্যাসাচুসেটস বে উপনিবেশ'' আরেকটি কর্পোরেট উপনিবেশ, যা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ইংল্যান্ড থেকে দূরে এমন একটি জায়গা হিসেবে, যেখানে ধর্মীয় ভিন্নমতাবলম্বীরা বসবাস করতে পারতো। পিউরিটানরা ছিল কট্টর প্রোটেস্টান্টদের একটি দল, যারা বাইবেলের মূল ধর্মে ফিরে যাওয়ার দাবি করত। তারা ইংল্যান্ডের রাষ্ট্রীয় চার্চের বিরোধিতা করায় নির্যাতনের শিকার হয় এবং অনেকেই প্রাণ হারায়। ১৬২০ সালে, ৪১ জন পিউরিটান (যারা নিজেদের "তীর্থযাত্রী" বা পিলগ্রিমস বলত) নতুন পৃথিবীর উদ্দেশ্যে যাত্রা করে।
পিলগ্রিমদের সমসাময়িক বিবরণ অনুযায়ী, তাদের মূল পরিকল্পনা ছিল বর্তমানে নিউ ইয়র্কের লং আইল্যান্ডের নিকটে হাডসন নদীর অঞ্চলে উপনিবেশ স্থাপন। কেপ কড দর্শনের পর তারা দক্ষিণ দিকে হাডসন নদীর দিকে যেতে চাইলেও, বিপজ্জনক সমুদ্রের সম্মুখীন হয়ে প্রায় জাহাজডুবির শিকার হয়। ফলে তারা আরেকবার দক্ষিণে যাওয়ার ঝুঁকি না নিয়ে কেপ কডেই ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নেয়। কয়েক সপ্তাহ ধরে উপযুক্ত উপনিবেশ স্থাপনের স্থান খোঁজার পর, মেফ্লাওয়ার জাহাজের যাত্রীরা অবশেষে বর্তমান ম্যাসাচুসেটসে ১৬২০ সালের ২৬ ডিসেম্বর প্লাইমাউথ-এ নোঙর করে। তখনকার সেখানে বসবাসকারী একটি আদিবাসী গোত্রের নামানুসারে তারা এটি "ম্যাসাচুসেটস" নামে অভিহিত করে।
[[File:The Mayflower Compact 1620 cph.3g07155.jpg|thumb|মেফ্লাওয়ারের যাত্রীরা "মেফ্লাওয়ার কম্প্যাক্ট"-এ স্বাক্ষর করছে]]
জন কারভারের মৃত্যুর পর গভর্নর দ্বারা নির্বাচিত উইলিয়াম ব্র্যাডফোর্ড একটি জার্নাল লেখেন, যা উপনিবেশবাসীদের দুঃখ-কষ্ট, আদিবাসীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ এবং পরবর্তীতে উপনিবেশের সাফল্য বোঝার জন্য গুরুত্বপূর্ণ দলিল হিসেবে বিবেচিত। পিলগ্রিমরা নিজেদের শাসনের জন্য মেফ্লাওয়ার কম্প্যাক্ট নামক এক চুক্তির মাধ্যমে একমত হয়, যা মেফ্লাওয়ার জাহাজেই স্বাক্ষরিত হয়। দুই বছর পর, তারা কমপ্যাক্টের অধীনে শুরু করা যৌথ মালিকানাভিত্তিক ব্যবস্থাকে ত্যাগ করে এবং ১৬২৩ সালে প্রতিটি পরিবারকে স্বতন্ত্র জমি ভাগ করে দেয়।
দশ বছর পরে, যৌথ স্টকভিত্তিক ম্যাসাচুসেটস বে কোম্পানি ইংল্যান্ডের রাজা চার্লসের কাছ থেকে একটি সনদ লাভ করে। প্লাইমাউথ উপনিবেশ পরে ম্যাসাচুসেটস বে উপনিবেশের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায়, তবে ১৬৯১ সাল পর্যন্ত এটি আলাদা অবস্থায় ছিল।
পরবর্তীতে, আরও বড় একটি পিলগ্রিম দল নতুন ম্যাসাচুসেটস বে উপনিবেশে অভিবাসন করে। যদিও এটি ইংল্যান্ডের রাষ্ট্রীয় চার্চের অনুসারী ছিল, উপনিবেশটি ধর্মীয় স্বাধীনতা দেয়নি। শুধুমাত্র (পুরুষ) পিউরিটানদের ভোটাধিকার ছিল, সহনশীলতা আইনের মাধ্যমে উপনিবেশে পিউরিটান ধর্মকে সরকারি ধর্ম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা হয় এবং যারা তাদের গির্জায় যেত না, তাদের শাস্তি দেওয়া হতো।
== নিউ ইয়র্ক ==
অন্যান্য দেশসমূহও অনুসন্ধান তহবিল জোগাতে যৌথ-স্টক কোম্পানি ব্যবহার করেছিল। ১৬০৯ সালে ডাচ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি উত্তর আমেরিকার পূর্ব উপকূলে ৩৮ থেকে ৪৫ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ পর্যন্ত বিস্তৃত একটি ভূখণ্ড আবিষ্কার করে। এটি ছিল হালভ মিন ("হাফ মুন") নামক একটি ইয়টের অভিযান, যার নেতৃত্বে ছিলেন হেনরি হাডসন। আদ্রিয়ান ব্লক এবং হেনড্রিক ক্রিস্টিয়ানস্ ১৬১১ থেকে ১৬১৪ সাল পর্যন্ত ঐ অঞ্চলের অনুসন্ধান চালান। ১৬১৪ সালের মার্চ মাসে নেদারল্যান্ডসের শাসন সংস্থা রাজ্য জেনারেল নতুন পৃথিবীতে বাণিজ্যের জন্য একচেটিয়া পেটেন্ট ঘোষণা করে। রাজ্য জেনারেল নিউ নেদারল্যান্ড উন্নয়নের জন্য একটি ব্যক্তিগত বাণিজ্যিক উদ্যোগ হিসেবে পেটেন্ট ইস্যু করে। নদীপথের সুরক্ষা এবং আদিবাসীদের সাথে বাণিজ্যের জন্য বর্তমানে আলবানি এলাকায় দ্রুত ফোর্ট ন্যাসাও নির্মাণ করা হয়। ১৬২৪ সালে নিউ নেদারল্যান্ড ডাচ প্রজাতন্ত্রের একটি প্রদেশে পরিণত হয়। পরবর্তীতে ইংরেজরা কেপ কডের উত্তরে অনুপ্রবেশ করায় উত্তর সীমা ৪২ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশে নামিয়ে আনা হয়।
ল অফ নেশনস অনুযায়ী, কোনো অঞ্চলের দাবি প্রতিষ্ঠা করতে হলে শুধু আবিষ্কার ও মানচিত্র তৈরিই নয়, বসতি স্থাপনও প্রয়োজন ছিল। ১৬২৪ সালের মে মাসে ডাচরা ৩০টি পরিবারকে নটেন এইলান্তে (বর্তমান গভর্নরস আইল্যান্ড) অবতরণ করিয়ে তাদের দাবি পূর্ণতা দেয়।
পরবর্তী কয়েক দশকে অদক্ষ ডিরেক্টর-জেনারেলদের দ্বারা নিউ নেদারল্যান্ড পরিচালিত হয়। উপনিবেশবাসীরা আদিবাসীদের আক্রমণের শিকার হন এবং ব্রিটিশ ও ডাচ সংঘাত উপনিবেশ ধ্বংসের পথে ঠেলে দেয়। কিন্তু ১৬৪৭ সালে পিটার স্টাইভসান্ট ডিরেক্টর-জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর সবকিছু বদলে যায়। উপনিবেশে এসে তিনি বলেছিলেন, “আমি তোমাদেরকে এক পিতার মতো শাসন করব।” তিনি উপনিবেশের সীমানা সম্প্রসারণ করেন। ১৬৫৫ সালে তিনি উত্তর ইউরোপের একমাত্র বসতি নিউ সুইডেন জয় করেন। ১৬৫০ সালে নিউ ইংল্যান্ডের সাথে সীমানা বিরোধ নিষ্পত্তি করেন। তিনি আদিবাসীদের হামলার বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা উন্নত করেন, এবং ১৬৪০ সালে যেখানে জনসংখ্যা ছিল ৫০০, তা ১৬৬৪ সালের মধ্যে বেড়ে দাঁড়ায় ৯,০০০-এ। কিন্তু ১৬৬৪ সালের আগস্ট মাসে চারটি ইংরেজ যুদ্ধজাহাজ নিউ ইয়র্ক বন্দরে এসে উপনিবেশ আত্মসমর্পণের দাবি করে। প্রথমে স্টাইভসান্ট প্রতিরোধ করার শপথ করেন, কিন্তু পর্যাপ্ত গোলাবারুদ ও বারুদের অভাবে এবং উপনিবেশবাসীদের দুর্বল সমর্থনে তিনি আত্মসমর্পণে বাধ্য হন। নিউ নেদারল্যান্ড পরবর্তীতে ব্রিটিশ ইয়র্কের ডিউকের সম্মানে "নিউ ইয়র্ক" নামে পরিচিত হয়।
বাণিজ্যে প্রাধান্য অর্জনের উদ্দেশ্যে ইংরেজরা ১৬৬৪ সালে ডাচদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। তারা আমেরিকার আটলান্টিক উপকূলে ডাচ বন্দর নিউ অ্যামস্টারডাম দখল করে। রাজা দ্বিতীয় চার্লসের ভাই জেমস নিউ অ্যামস্টারডাম এবং এর আশেপাশের ডাচ অঞ্চলগুলোর সনদ লাভ করেন।
১৬৭৩ সালে ডাচরা মিচিয়েল ডি রুইটারের নেতৃত্বে সাময়িকভাবে আবার নিউ নেদারল্যান্ড পুনর্দখল করে, এবং এইবার এর নাম দেয় নিউ অরেঞ্জ। কিন্তু তৃতীয় ইঙ্গ-ডাচ যুদ্ধের শেষে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হলে তারা অঞ্চলটি আবার ইংরেজদের কাছে ফিরিয়ে দেয়।
== অন্যান্য প্রারম্ভিক উপনিবেশে উপনিবেশ স্থাপনের ধরণ ==
ক্যারোলিনা অঞ্চলের নামকরণ করা হয়েছিল ব্রিটিশ রাজা প্রথম চার্লসের নামানুসারে, এবং এটি একটি মালিকানাভিত্তিক উপনিবেশ হিসেবে আটজন অভিজাত ব্যক্তিকে প্রদান করা হয়। এই মালিকগণ ক্যারোলিনাকে দুটি পৃথক উপনিবেশে ভাগ করে দেন – ''উত্তর ক্যারোলিনা'' এবং ''দক্ষিণ ক্যারোলিনা''।
চারটি উপনিবেশ ইতিমধ্যেই বিদ্যমান বৃহত্তর ভূখণ্ড থেকে বিভাজনের মাধ্যমে গঠিত হয়েছিল। নিউ হল্যান্ড যখন দখল করে নিউ ইয়র্কে রূপান্তরিত করা হয়, তখন রাজা জেমস ভূখণ্ডের একটি অংশ, বর্তমান ''নিউ জার্সি'', লর্ড বার্কলি ও স্যার জর্জ কার্টারেটকে প্রদান করেন, এবং বর্তমান নিউ ইয়র্ক নিজের জন্য একটি মালিকানাভিত্তিক উপনিবেশ হিসেবে রাখেন। স্যার জর্জ এসেছিলেন জার্সি দ্বীপপুঞ্জ থেকে, এবং সেই অনুযায়ী নতুন উপনিবেশের নাম রাখা হয়। ভূখণ্ডের আরেকটি অংশ হয়ে ওঠে ক্রাউন নিয়ন্ত্রিত উপনিবেশ ''কানেকটিকাট''। এই উপনিবেশের নামকরণ করা হয় সেখানকার আদি ইন্ডিয়ান জনগোষ্ঠীর নামানুসারে। ১৭০৪ সালে পেনসিলভানিয়ার একটি কোণ বিচ্ছিন্ন হয়ে ''ডেলাওয়্যার'' উপনিবেশে পরিণত হয়, যেখানে কোয়াকাররা বসবাস করত না। এর নামকরণ করা হয় টমাস ওয়েস্ট, তৃতীয় ব্যারন ডি লা ওয়্যারের নামে, যিনি ছিলেন রানি এলিজাবেথের আমলের একজন অভিজাত এবং খ্যাতিমান অভিযাত্রী।
''রোড আইল্যান্ড'' ছিল ধর্মীয় ও রাজনৈতিক স্বাধীনতার একটি অনন্য পরীক্ষা। রজার উইলিয়ামস যখন প্রচার করতে থাকেন যে যিশু খ্রিস্ট চেয়েছিলেন যাতে গির্জা শাসনক্ষমতা থেকে পৃথক থাকে, তখন ম্যাসাচুসেটস তাকে নির্বাসিত করে। চার্চ অব ইংল্যান্ড এবং পরবর্তীতে পিউরিটানদের বিরোধিতা করা এই ব্যক্তি হন প্রথম আমেরিকান ব্যাপটিস্ট। অন্যান্য উপনিবেশে নানা অভিযানের পর তিনি নারাগানসেট ইন্ডিয়ানদের কাছ থেকে জমি কিনে একটি নতুন বসতি স্থাপন করেন। প্রভিডেন্স গঠিত হয়েছিল ধর্মীয় জটিলতা থেকে মুক্ত একটি উপনিবেশ এবং বিবেকবান মানুষের আশ্রয়স্থল হিসেবে। পরে তার অনুসরণে আসেন অ্যান হাচিনসন। তিনি বোস্টনের ধর্মীয় নেতাদের ক্ষুব্ধ করেছিলেন কারণ তিনি একজন নারী হয়েও প্রচার করতেন, এবং তিনি বিশ্বাস করতেন যে কার্যের সঙ্গে কৃপার সম্পর্ক সবসময় থাকে না, যা পিউরিটান মতবাদের বিরুদ্ধে। তিনিও ইন্ডিয়ানদের কাছ থেকে জমি কিনেছিলেন। সেখানে গঠিত হয় ''পোর্টসমাউথ'' নামের বসতি, এবং পরে একটি মতানৈক্যপূর্ণ সহোদর শহর ''নিউপোর্ট''। উপনিবেশটি আংশিকভাবে আকুইডনেক দ্বীপের উপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠে, যা পরবর্তীতে অজানা কারণে রোড আইল্যান্ড নামে পরিচিতি পায়, এবং পুরো উপনিবেশের নাম ওই স্থান থেকে নেওয়া হয়।
''জর্জিয়া'' ছিল আরেকটি মালিকানাভিত্তিক উপনিবেশ, যা রাজা প্রথম জর্জের নামানুসারে নামকরণ করা হয়। ১৭৩২ সালে জেমস ওগলথর্প ও অন্যান্যদের কাছে এর চার্টার প্রদান করা হয়। এটি অন্যান্য উপনিবেশকে ফ্লোরিডার স্প্যানিশ ও লুইজিয়ানার ফরাসিদের আক্রমণ থেকে রক্ষার জন্য একটি "বাফার" উপনিবেশ হিসেবে পরিকল্পিত ছিল। এই কারণে, জর্জিয়া ছিল একমাত্র উপনিবেশ যেটি প্রতিষ্ঠার সময় থেকেই ব্রিটিশ রাজশক্তির আর্থিক সহায়তা পেয়েছিল। তৎকালীন ব্রিটেনে ঋণগ্রস্ত মানুষদের কারাগারে পাঠানো হতো। এই ধরনের অনেক বন্দিকে অতিরিক্ত ভিড়যুক্ত জেল থেকে মুক্ত করে জর্জিয়া উপনিবেশে পাঠানো হয়। তখন আমেরিকাকে ইতিমধ্যে সমৃদ্ধির ভূমি হিসেবে দেখা হচ্ছিল, এবং ওগলথর্প আশা করেছিলেন এই প্রাক্তন বন্দিরা দ্রুত সৎ ও ধনী হয়ে উঠবে। কিন্তু লন্ডনের জেলখানার অধিকাংশ বন্দিই নতুন অজানা বন্য অঞ্চলে টিকে থাকার জ্ঞান রাখত না।
== ব্রিটিশ উপনিবেশগুলোর একটি চিত্র ==
উপনিবেশগুলোকে প্রায়শই তিনটি ভাগে বিবেচনা করা হয়: '''নিউ ইংল্যান্ড''' (নিউ হ্যাম্পশায়ার, ম্যাসাচুসেটস, রোড আইল্যান্ড, কানেকটিকাট), '''দক্ষিণ উপনিবেশসমূহ''' (মেরিল্যান্ড, ভার্জিনিয়া, ক্যারোলিনাসমূহ এবং জর্জিয়া), এবং '''মধ্য উপনিবেশসমূহ''' (নিউ ইয়র্ক, নিউ জার্সি, পেনসিলভানিয়া এবং ডেলাওয়্যার)। কখনও কখনও ক্যারোলিনাসমূহ এবং জর্জিয়া-কে চেসাপিক উপনিবেশ থেকে আলাদাভাবে গণ্য করা হয়।
প্রত্যেকটি গোষ্ঠীর ভৌগোলিক ও অর্থনৈতিক বৈশিষ্ট্য ছিল। নিউ ইংল্যান্ডের পাথুরে মাটি কেবল ছোট খামারের পক্ষে উপযুক্ত ছিল, এবং কৃষিকাজের সুযোগ সীমিত ছিল। ফলে, এই অঞ্চলের লোকেরা অর্থ উপার্জনের জন্য মাছ ধরা, বনজ সম্পদ আহরণ, জাহাজ পরিবহন ও ক্ষুদ্র শিল্পের ওপর নির্ভর করত।<ref>{{cite book |last = Morison |first = Samuel Eliot |coauthors = |title = The Oxford History of the American People |publisher = Mentor |year = 1972 |location = New York City |pages =199–200 |url = |doi = |id = |isbn = 0451-62600-1 }}</ref>
দক্ষিণ উপনিবেশের উর্বর জমি ব্যক্তি মালিকদের দ্বারা দখল হয়, যারা বড় আকারের খামার তৈরি করেছিল যেখানে তামাক এবং পরবর্তীতে তুলা চাষ করা হতো। ক্যারোলিনাসমূহে চিনি, ধান ও নীল গাছও চাষ হতো। ১৭শ শতকে, এসব ফসল খাটিয়ে নেওয়া হতো চুক্তিভিত্তিক শ্রমিকদের দ্বারা—যারা আমেরিকায় আসার জন্য ভাড়ার বিনিময়ে নির্দিষ্ট বছর কাজ করত এবং পরবর্তীতে জমির অধিকার পেত। এদের অনেকেই চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই মারা যেত। ১৬৭৬ সালে চুক্তিভিত্তিক শ্রমিকদের একটি দল বেকনের বিদ্রোহে অংশগ্রহণ করে। এই বিদ্রোহের পর, বৃহৎ খামারগুলো আফ্রিকান ক্রীতদাসদের কাজে লাগাতে শুরু করে। যদিও অনেক চুক্তিভুক্ত শ্বেতাঙ্গ পরবর্তীতে মুক্ত হয়, তারা সামাজিকভাবে নিম্নবর্গেই থেকে যায়, যদিও তারা ক্রমাগত কঠোরতর দাসবিধির আওতায় পড়ত না—এই দাসবিধিগুলো দক্ষিণ উপনিবেশে দাসদের প্রায় সব স্বাধীনতা অস্বীকার করত। আমেরিকান বিপ্লবের সময়, প্রতি পাঁচজন উপনিবেশবাসীর মধ্যে একজন ছিলেন আফ্রিকান দাস। আর দক্ষিণে দাসশ্রমে উৎপন্ন পণ্যই ছিল মধ্য উপনিবেশ ও নিউ ইংল্যান্ডের শহরগুলোর ভোগ ও বাণিজ্যের প্রধান উপকরণ। খুব কম লোকই দাসভিত্তিক অর্থনীতিকে প্রশ্ন করত।
মধ্য উপনিবেশে ছিল মাঝারি আকারের খামার। এসব উপনিবেশে ছিল বিভিন্ন সংস্কৃতি ও বিশ্বাসের মানুষ। এই রাজ্যগুলোতেও চুক্তিভিত্তিক শ্রমিক এবং পরে দাস ব্যবহার করা হতো, কিন্তু দক্ষিণ উপনিবেশের মতো বিশালসংখ্যক দাসশ্রমের ব্যবহার সেখানে দেখা যেত না।
আরেকটি পার্থক্য ছিল ধর্মীয় চর্চায়। নিউ ইংল্যান্ড ছিল মূলত কনগ্রিগেশনালিস্ট, কিছুটা প্রেসবিটারিয়ান এবং নিজেকে ব্যাপটিস্ট দাবি করা ধর্মীয় অসামঞ্জস্যবাদীদের উপস্থিতি ছিল। তারা সবাই ছিলেন ব্রিটিশ গৃহযুদ্ধের পূর্ব ও সময়কার ধর্মীয় ভিন্নমতাবলম্বীদের উত্তরসূরি। দক্ষিণে প্রধানত অ্যাংলিকানরা ছিল, যারা ধর্মীয় ও ধর্মবহির্ভূত ঐতিহ্য ও ছুটির দিনগুলোকে মূল্য দিত। মধ্য উপনিবেশে ছিল হল্যান্ড, জার্মান ভূখণ্ড ও এমনকি বোহেমিয়ার ছোট ছোট জনগোষ্ঠী, যারা নিয়ে এসেছিল ক্যাথলিক ও প্রোটেস্টান্ট বিশ্বাসের বৈচিত্র্য।
যেসব শ্বেতাঙ্গকে ইংরেজ কর্তৃপক্ষ আমেরিকায় পাঠিয়েছিল, তাদের মধ্যে অনেক স্কটস-আইরিশ ছিল, যারা আলস্টার থেকে আগত। এরা ছিল ক্যালভিনবাদী প্রোটেস্টান্ট, যাদের অবস্থান ছিল আইরিশ ক্যাথলিক সংখ্যাগোষ্ঠীর মধ্যে, এবং তারা উভয় পক্ষ ও ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধেই অবস্থান করত। এই সংখ্যালঘু দল অ্যাপালাচিয়ান পর্বতমালা এবং পরে ওহাইও ও মিসিসিপি অঞ্চলের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে বসতি স্থাপন করেছিল। আমেরিকায় তারা ভূমি ও স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষায় সামান্য খরচে উপনিবেশের সীমান্তকে পশ্চিম দিকে প্রসারিত করেছিল, এবং পূর্বাঞ্চলের বসতিগুলো ও স্থানচ্যুত আদিবাসী গোষ্ঠীর মধ্যে একপ্রকার সশস্ত্র সীমানা রক্ষা করেছিল। উপনিবেশিক সীমান্তবাসীদের জীবন ছিল অত্যন্ত কষ্টকর—তারা নিজের হাতে ঘন বনাঞ্চলে শহর ও খামার গড়ে তুলত, দারিদ্র্য ও আদিবাসী আক্রমণের মুখোমুখি হয়ে।
প্রত্যেকটি উপনিবেশ স্থানীয় ধর্মবিশ্বাস ও সামর্থ্য অনুযায়ী শিক্ষাদান ও বিনোদনের নিজস্ব ক্ষেত্র গড়ে তোলে। দক্ষিণাঞ্চলের সংস্কৃতিতে সংগীতনাট্যে আগ্রহ দেখা যায়, যার কেন্দ্র ছিল চার্লসটন, সাউথ ক্যারোলিনা এবং উইলিয়ামসবার্গ, ভার্জিনিয়া। ১৭৫০ সালে নিউ ইয়র্ক সিটিতে শেক্সপিয়ারের "রিচার্ড তৃতীয়" নাটকের একটি পেশাদার পরিবেশনা হয়, যা ছিল আমেরিকায় শেক্সপিয়ারের প্রথম পেশাদার নাট্য পরিবেশনা। প্রচারক, বক্তা ও গায়করা উপনিবেশবাসীদের বিনোদন দিতেন।
তাদের মধ্যে পার্থক্যের চেয়ে মিলই ছিল বেশি। তিনটি অঞ্চলেই জনসংখ্যা প্রধানত ব্রিটিশ দ্বীপপুঞ্জ থেকে আগত। প্রত্যেকটির সড়কব্যবস্থা ছিল অত্যন্ত খারাপ, এবং আটলান্টিক মহাসাগরের মাধ্যমে তারা পরিবহণের সংযোগ রাখত। এরা সবাই আটলান্টিক অর্থনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিল। আটলান্টিক অঞ্চলের বণিকেরা জাহাজে করে আমেরিকা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ইউরোপ এবং আফ্রিকার মধ্যে দাস, তামাক, রাম, চিনি, সোনা, রূপা, মসলা, মাছ, কাঠ এবং প্রস্তুত পণ্য আদান-প্রদান করত।<ref>{{cite book|title=Cod: A Biography of the Fish That Changed the World|last=Kurlansky|first=Mark|publisher=New York: Walker|isbn=0-8027-1326-2}}</ref> নিউ ইয়র্ক, ফিলাডেলফিয়া, বোস্টন ও চার্লসটন ছিল সে সময়ের বৃহত্তম শহর এবং প্রধান বন্দর।<ref>{{cite web| url= http://www.census.gov/population/www/documentation/twps0027/tab02.txt| title= Earliest Population Figures for American Cities | author= U.S. Census Bureau|accessdate=2010-08-29}}</ref>
== প্রাথমিক প্রযুক্তি ==
প্রথম দফার উপনিবেশকারীরা খেটে খাওয়া শ্রমের মাধ্যমে তাদের খামার চাষ করতেন এবং কুমারশিল্প ও চামড়া ট্যানিংয়ের মতো ভূমিভিত্তিক হস্তশিল্প গড়ে তুলেছিলেন। পরবর্তী সময়ে জাহাজে করে গরু ও ঘোড়া আনা হলে খসড়া প্রাণী অর্থনীতির অংশ হয়ে ওঠে। চুক্তিভিত্তিক শ্রমিক এবং পরে আফ্রিকা থেকে অপহৃত দাসদের আমদানি করা হয়। তখনই বৃহৎ আকারের প্ল্যান্টেশন স্থাপিত হতে শুরু করে। অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষভাগে ছোট পরিসরে যন্ত্রনির্ভর উৎপাদনশিল্প দেখা দেয়। লোকজন কয়লা ও লৌহ আকরিক খনন শুরু করে। নিউ ইংল্যান্ড ওই আকরিক ব্যবহার করে নির্মাণ সরঞ্জাম ও ঘোড়ার নাল তৈরি করতে শুরু করে। দক্ষিণের তুলার ওপর নির্ভরশীল একটি নতুন বস্ত্রশিল্প গড়ে ওঠে। কাঠ বা কয়লা দ্বারা চালিত এবং শক্তিশালী ধাতুর চাহিদায় পরিচালিত গৃহস্থালির ধাতুকর্মে লোহা গলানোর নতুন কৌশল উদ্ভাবিত হয়। লোহার কাজ করা কারিগর ও টিনশিল্পীরা বড় বসতিগুলোর অংশ হয়ে ওঠে। উপনিবেশগুলো যান্ত্রিক ঘড়ি, আগ্নেয়াস্ত্র এবং ছাপাখানার জন্য সীসা টাইপ তৈরি করতে শুরু করে।
<gallery mode="packed" heights="150px">
File:The Francis Skerry Beaker, Jeremiah Dummer, American, c. 1670, silver - Fogg Art Museum, Harvard University - DSC01384.jpg|১৬৭০ সালের কাছাকাছি সময়ে আমেরিকায় জন্মগ্রহণকারী প্রথম রূপকার [[w:Jeremiah Dummer (silversmith)|জেরেমায়া ডামার]] নির্মিত একটি রূপার বীকার।
File:First Slave Auction 1655 Howard Pyle.jpg|১৬৫৫ সালে নিউ আমস্টারডামে অনুষ্ঠিত প্রথম দাস নিলামের চিত্র। (১৮৯৫ সালের চিত্রাঙ্কন)
File:WestFrontMansionMountVernon.jpg|মাউন্ট ভারন প্ল্যান্টেশন, নির্মিত ১৭৫৮ সালে। যখন জর্জ ওয়াশিংটন ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেন, তখনও তিনি তার নিজের দাসদের ধরে রেখেছিলেন, যারা নিজেরাও স্বাধীনতার অভাবে অসন্তুষ্ট ছিলেন।<ref>{{cite web |title=Resistance and Punishment |url=https://www.mountvernon.org/george-washington/slavery/resistance-and-punishment/ |website=George Washington's Mount Vernon |accessdate=19 September 2020 |language=en}}</ref>
File:Parkman Tavern, Concord MA.jpg|[[w:Parkman Tavern|পার্কম্যান ট্যাভার্ন]], কনকর্ড, ম্যাসাচুসেটস-এ ১৬৫৯ সালে নির্মিত।
</gallery>
== বাণিজ্যনৈতিক মতবাদ, সহনশীল অবহেলা ও ব্রিটিশ হস্তক্ষেপ ==
আমেরিকান উপনিবেশগুলো, যারা সমুদ্র দিয়ে বিচ্ছিন্ন একেবারে নতুন সমাজ ছিল, বিশ্বাস করত যে তাদের নিজেদের শাসনের অধিকার রয়েছে। এই বিশ্বাসকে উৎসাহিত করেছিল ব্রিটেনের গৌরবময় বিপ্লব এবং ১৬৮৯ সালের অধিকার বিল, যা পার্লামেন্টকে সর্বোচ্চ শাসনক্ষমতা দেয়। '''সহনশীল অবহেলার''' নামে পরিচিত অপেক্ষাকৃত শিথিল নিয়ন্ত্রণের এই নীতির অবসান ঘটে ব্রিটিশ নিয়ন্ত্রণ বৃদ্ধি পাওয়ার মাধ্যমে, যা বাণিজ্যনৈতিক মতবাদের প্রভাবে এবং লর্ডস অফ ট্রেড ও পরবর্তী ন্যাভিগেশন আইনগুলোর মাধ্যমে প্রতিফলিত হয়।
=== বাণিজ্যনৈতিক মতবাদ ===
পার্লামেন্ট, '''বাণিজ্যনৈতিক মতবাদ''' নামক অর্থনৈতিক নীতির অনুসরণে, উপনিবেশগুলোর বাণিজ্যের ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করে। এই মতবাদের মূল ধারণা ছিল—একটি জাতির অর্থনৈতিক শক্তি নির্ভর করে তার রপ্তানি পণ্যের মূল্যের ওপর। একটি দেশ তার উপনিবেশগুলোর মাধ্যমে কাঁচামালের পরিবর্তে প্রস্তুত পণ্য উৎপাদন করতে পারে। এই পণ্যগুলো অন্যান্য দেশের সঙ্গে বিনিময় করে উপনিবেশকারী দেশের শক্তি বাড়ানো সম্ভব। এই নীতির প্রবর্তক ছিলেন ফরাসি অর্থনীতিবিদ জঁ-বাতিস্ত কোলবে। এটি ব্রিটেনের জন্য অত্যন্ত উপযোগী মনে করা হয়। স্পেনের অর্থনৈতিক ভিত্তি ছিল আমেরিকান সোনা, আর ফ্রান্সের ছিল আমেরিকান পশম। ইংল্যান্ডের কাছে সোনা বা পশম ছিল না, তবে তাদের ছিল আমেরিকান তুলা, মলাসেস (আখের গুড়), তামাক, এবং উন্নত মানের জাহাজ। ১৭০০ শতকের মধ্যভাগ পর্যন্ত উপনিবেশগুলো “সহনশীল অবহেলা”-এর দীর্ঘ সময় উপভোগ করেছিল, যেখানে ব্রিটিশরা প্রায়ই উপনিবেশগুলিকে নিজেদের মতো করে পরিচালনা করতে দিত। এখন সেই সময় শেষ হয়।
=== লর্ডস অফ ট্রেড ===
বাণিজ্যনৈতিক নীতিগুলো কার্যকর করার প্রয়াসে রাজা দ্বিতীয় চার্লস প্রিভি কাউন্সিলের একটি নতুন কমিটি হিসেবে '''লর্ডস অফ ট্রেড''' গঠন করেন। এই লর্ডরা উপনিবেশগুলোর শাসন ইংরেজদের পক্ষে উপযোগী করার চেষ্টা করেন, উপনিবেশবাসীদের পক্ষে নয়।
লর্ডস অফ ট্রেড চেয়েছিল সমস্ত আমেরিকান উপনিবেশকে রাজকীয় উপনিবেশে রূপান্তর করতে, যাতে মুকুটের শক্তি বাড়ানো যায়। রাজা দ্বিতীয় জেমস-এর শাসনকালে (দ্বিতীয় চার্লসের উত্তরসূরি), নিউ ইয়র্ক, নিউ জার্সি এবং পুরিটান উপনিবেশগুলোকে একত্র করে ১৬৮৭ সালে “ডমিনিয়ন অব নিউ ইংল্যান্ড” গঠন করা হয়।
তবে এই ডমিনিয়ন অল্পদিন টিকে ছিল। দ্বিতীয় জেমস ছিলেন ক্যাথলিক, আর ব্রিটিশ প্রোটেস্টান্টরা তাকে হুমকি মনে করত। গৌরবময় বিপ্লবে (১৬৮৮) তাকে সিংহাসনচ্যুত করা হয় (পার্লামেন্ট তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে সিংহাসন ত্যাগ করানো হয়েছে বলে ধরে নেয়)। ১৬৮৯ সালে জেমসের কন্যা মেরি দ্বিতীয় ও তার স্বামী উইলিয়াম তৃতীয় যুগ্মভাবে সিংহাসনে বসেন। তবে প্রকৃত ক্ষমতা ছিল ব্রিটিশ পার্লামেন্টের হাতে। ডমিনিয়ন অব নিউ ইংল্যান্ড বিলুপ্ত হয়, পৃথক উপনিবেশগুলো পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয় এবং লর্ডস অফ ট্রেড বিলুপ্ত হয় (এর পরিবর্তে কেবল উপদেষ্টা ভিত্তিক একটি বোর্ড অফ ট্রেড গঠিত হয়)।
=== ন্যাভিগেশন আইনসমূহ ===
১৬৬০ সাল থেকে ইংল্যান্ডের পার্লামেন্ট '''ন্যাভিগেশন আইনসমূহ''' প্রণয়ন করতে থাকে, যাতে তারা তাদের উপনিবেশ থেকে বেশি লাভ তুলতে পারে। এসব আইনের অধীনে নির্ধারিত হয় যে যেকোনো উপনিবেশিক আমদানি-রপ্তানি কেবলমাত্র ইংল্যান্ডে নিবন্ধিত জাহাজে পরিবাহিত হতে পারবে—মানে শুধুমাত্র ইংল্যান্ডই শিপিং-এর ক্ষমতা ও এর থেকে আসা মুনাফা ভোগ করবে। তামাক ও চিনি রপ্তানি শুধুমাত্র ইংল্যান্ডে করা যাবে, অন্য কোনো দেশে নয়। (তখন তামাক ও চিনি দুটোই ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হতো—চিনির দ্বারা অ্যালকোহল তৈরি করা হতো যা ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হতো)। এবং উপনিবেশগুলো কোনো বিদেশি নির্মিত পণ্য আমদানি করতে পারত না, যদি না সেগুলো প্রথমে ইংল্যান্ডে নিয়ে যাওয়া হতো, সেখানে শুল্ক পরিশোধ করা হতো, তারপর সেগুলো উপনিবেশে পাঠানো হতো।
১৭৩০-এর দশকে, সুগার অ্যাক্ট অনুযায়ী উপনিবেশগুলোতে আমদানি হওয়া প্রতি গ্যালন চিনি বা মলাসেসের ওপর ছয় পেন্স কর আরোপ করা হয়। ১৭৫০ সালের মধ্যে পার্লামেন্ট আরও অনেক পণ্যের ওপর নিষেধাজ্ঞা, নিয়ন্ত্রণ বা কর আরোপ করতে শুরু করে। তারা উপনিবেশে সমস্ত ধরনের উৎপাদন ঠেকাতে চায়। এই নীতিগুলো উপনিবেশবাসীদের মধ্যে প্রবল ক্ষোভ সৃষ্টি করে, যদিও ইউরোপের অন্যান্য রাজতন্ত্রের প্রজাদের তুলনায় তাদের করভার তুলনামূলকভাবে কম ছিল।
উপনিবেশবাসীরা ন্যাভিগেশন আইনগুলোকে ঘৃণা করত, কারণ তারা বিশ্বাস করত যে নিজেরা বাণিজ্য করতে পারলে আরও সমৃদ্ধ ও ধনী হতে পারত। তারা আরও বিশ্বাস করত যে কিছু গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ ইংল্যান্ডে পাওয়া যায় না।
== ১৭০০-এর দশকে আদিবাসীরা ==
গ্রেট প্লেইন্স-এর আদিবাসীরা:
আজকের দিনে, যেই অঞ্চল জুড়ে গ্রেট প্লেইন্স-এর সমস্ত আদিবাসীরা বাস করতেন, তা রকি পর্বতমালা থেকে মিসিসিপি নদী পর্যন্ত বিস্তৃত। ১৭০০-এর দশকে, প্রায় ৩০টি গোত্র এই গ্রেট প্লেইন্স অঞ্চলে বসবাস করত। এই গোত্রগুলো মূলত খাদ্য এবং দৈনন্দিন অন্যান্য প্রয়োজনীয়তার জন্য মহিষের ওপর নির্ভর করত। আদিবাসীরা—বিশেষ করে নারীরা—তাদের পোশাক মহিষের চামড়া দিয়ে তৈরি করতেন, তবে তারা হরিণের চামড়াও ব্যবহার করতেন। নারীরা মৃত হরিণ বা মহিষের চামড়া জলে ভিজিয়ে রাখতেন এবং এরপর তার লোম চেঁছে ফেলতেন।<ref name="englar">Englar, Mary. The Great Plains Indians: Daily Life in the 1700s. Mankato, MN: Capstone, 2006. Print.</ref>
তদ্ব্যতীত, আদিবাসী গোত্রগুলো একে অপরের সঙ্গে বাণিজ্য করত। একজন ব্যক্তির কাছে যত বেশি ঘোড়া থাকত, তাকে তত বেশি ধনী বলে মনে করা হতো; আদিবাসীরা তাদের ঘোড়ার বিনিময়ে খাদ্য, যন্ত্রপাতি, অস্ত্র (যেমন বন্দুক), এবং পশুচর্ম বিনিময় করত। যেহেতু বিভিন্ন গোত্রের ভাষা একে অপরের থেকে ভিন্ন ছিল, তাই তারা পারস্পরিক বাণিজ্যের সময় সাঙ্কেতিক ভাষা ব্যবহার করত।<ref name="englar" />
== ফিলাডেলফিয়া নির্বাচনী দাঙ্গা ==
১৭৪২ সালে নির্বাচনের দিনে ফিলাডেলফিয়ায় একটি দাঙ্গা শুরু হয়, যার কারণ ছিল অ্যাঙ্গলিকান জনগণের কোয়াকার সংখ্যাগোষ্ঠীর সঙ্গে মতবিরোধ। এই দাঙ্গার মূল কারণ ছিল অ্যাঙ্গলিকান ও কোয়াকার জনগণের মধ্যে ক্ষমতার দ্বন্দ্ব। কোয়াকাররা ফিলাডেলফিয়ায় দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক আধিপত্য বজায় রেখেছিল। জার্মান জনগণ কোয়াকারদের ভোটকে সমর্থন করেছিল, কারণ কোয়াকার অহিংস নীতির ফলে কর বাড়ার সম্ভাবনা এবং শেষ পর্যন্ত বাধ্যতামূলক সৈন্যভর্তির আশঙ্কা কমে যেত। নির্বাচনের দিনে অ্যাঙ্গলিকান ও নাবিকেরা কোয়াকার এবং জার্মানদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। কোয়াকাররা কোর্টহাউসে আশ্রয় নিতে সক্ষম হয় এবং নির্বাচন সম্পন্ন করে। অ্যাঙ্গলিকান দল নির্বাচনে পরাজিত হয় এবং দাঙ্গার পর ৫৪ জন নাবিককে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়।
== শিক্ষা ==
১৭০০-এর দশকে উপনিবেশগুলোর তিনটি অঞ্চল ভিন্ন ভিন্ন আগ্রহসম্পন্ন জনগোষ্ঠী নিয়ে গঠিত ছিল, ফলে তারা তাদের শিশুদের জন্য ভিন্নধর্মী শিক্ষা প্রদান করত। যদিও কিছু সাধারণ বৈশিষ্ট্য ছিল — তিন অঞ্চলের যে কোনো ধনী পরিবার তাদের পুত্রকে ইউরোপে পড়তে পাঠাতে পারত — তবুও বিভিন্ন উপনিবেশে শিক্ষাদানের ধরণে পার্থক্য দেখা যেত।
নিউ ইংল্যান্ডে শিক্ষার উদ্দেশ্য ছিল সামাজিক ও ধর্মীয় উভয়ই। একজন সুশীল নাগরিককে অবশ্যই বাইবেল জানতে হতো। ১৬৪৭ সালের ম্যাসাচুসেটস জেনারেল স্কুল আইন বলেছিল, যদি কোনো অঞ্চলে ৫০টির বেশি পরিবার বসবাস করে, তবে একজন স্কুলশিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে। এই আইনের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছিল: "সেই পুরাতন প্রতারক, শয়তানের অন্যতম প্রধান কৌশল হলো মানুষকে বাইবেলের জ্ঞান থেকে দূরে রাখা, যেমন পূর্বকালে অজানা ভাষায় বাইবেল রেখে আর বর্তমানে ভাষা ব্যবহারে নিরুৎসাহিত করে; যাতে মূল বক্তব্য বিভিন্ন মিথ্যা ব্যাখ্যা ও সান্ত-সদৃশ প্রতারকদের দ্বারা বিকৃত হয়; এবং যেন শিক্ষা আমাদের পূর্বপুরুষদের কবরে চাপা না পড়ে, গির্জা ও রাষ্ট্রে তা টিকে থাকে, প্রভুর সহায়তায় আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।" এটি ছিল পিলগ্রিমদের নীতিমালা, যা তারা স্বৈরাচারীদের চাপিয়ে দেওয়া অজ্ঞতার বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠা করেছিল। ছেলে ও মেয়েরা প্রায়শই তাদের বাবা-মায়ের কাছেই বাইবেল পড়তে শিখত, সম্ভবত একটি "হর্নবুক" ব্যবহার করে — এক ধরণের বর্ণমালা ও শব্দতালিকা পাতা, যেটি শিং দিয়ে মোড়ানো থাকত।
শুধু বাইবেল পড়তে পারলেই চলবে না, একজন খ্রিস্টানকে অবশ্যই তার সমাজে শাসন করতে পারতে হবে। (''তার'' সমাজে: কারণ সরকার পরিচালনা ছিল ধার্মিক, সম্পত্তিধারী পুরুষদের অধিকার, নারীদের নয়।) এই উদ্দেশ্যে তরুণদের ক্লাসিক্যাল শিক্ষা — মূলত লাতিনভিত্তিক — অর্জন করতে হতো। ১৬৪৭ সালের আইন ছিল আমেরিকান গ্রামার স্কুলের সূচনা, যা শুরুতে লাতিন পড়াত, পরে এতে নেভিগেশন, প্রকৌশল, হিসাবরক্ষণ, ও বিদেশি ভাষার মতো ব্যবহারিক বিষয় যুক্ত হয়।<ref>A People and a Nation, Eighth Edition</ref> উপনিবেশিক যুগে খোলা বেশিরভাগ স্কুল ছিল ব্যক্তিমালিকানাধীন।<ref>http://www.excite.com/education/education/history-of-american-education</ref> তবে এর আগে ছিল প্রথম সরকার-সমর্থিত বিদ্যালয়, ১৬৩৫ সালে প্রতিষ্ঠিত বোস্টন লাতিন স্কুল। এর পাঠ্যক্রম ছিল কঠোর, ফলে ছাত্রসংখ্যা ছিল কম। হার্ভার্ড ছিল আমেরিকার প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়, ১৬৩৬ সালে প্রতিষ্ঠিত, মূলত প্রোটেস্টান্ট ধর্মযাজকদের প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্যে। ক্লাসিক্যাল পাঠ্যক্রম থেকে স্নাতকের সংখ্যা খুবই কম ছিল, ফলে উপস্থিতিও ছিল কম। কেউ কেউ সরাসরি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতো, কেউ ১৪ বা ১৫ বছর বয়সেই হার্ভার্ডে ঢুকত। কটন ম্যাথার ১৫ বছর বয়সে হার্ভার্ড থেকে স্নাতক হয়েছিলেন, যা ছিল তার অস্বাভাবিক প্রতিভার কারণে ব্যতিক্রম। ব্যক্তিগত স্কুলে ছেলে ও মেয়েরা হাতের লেখা, মৌলিক গণিত, ইংরেজি পড়া ও লেখা শিখত। এরপর তারা বিভিন্ন পেশায় শিক্ষানবিশ হিসেবে প্রবেশ করত। যারা গৃহপরিচারিকা হতো না, তারা গৃহস্থালি কাজের জন্য প্রশিক্ষিত হতো — সূচিশিল্প, রান্না, এবং কয়েকদিন ধরে কাপড় ধোয়ার মতো কাজ শেখানো হতো।
নিউ ইংল্যান্ডের মতো, মধ্য উপনিবেশগুলোতেও বেসরকারি স্কুল ছিল, যেখানে পড়া ও লেখা শেখানো হতো। তবে মৌলিক শিক্ষা সেখানে আরও দুর্লভ ছিল। পশ্চিমে যত দূরে কেউ বাস করত, স্কুলে যাওয়া কিংবা পড়তে ও লিখতে শেখার সম্ভাবনা ততই কম হতো। জাতিগত ও ধর্মীয় উপগোষ্ঠীগুলো নিজেদের শিশুদের জন্য নিজেদের নিয়মে বেসরকারি স্কুল চালাত। কোনো উপনিবেশেই উচ্চশিক্ষা নিশ্চিত ছিল না। মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলো বড় শহর — যেমন বোস্টন, নিউ ইয়র্ক, ফিলাডেলফিয়া ও চার্লসটন — ছাড়া খুবই বিরল ছিল।<ref>A People and a Nation Eighth Edition</ref>
চেসাপিক অঞ্চলের অভিজ্ঞতা ছিল একেবারেই ভিন্ন। শিশুদের পড়তে ও লিখতে পারার পূর্বশর্ত ছিল, তাদের বাবা-মাও যদি তা পারেন।<ref>A People and a Nation Eighth Edition</ref> দক্ষিণে বিপ্লবী যুগ পর্যন্ত খুব কম সংখ্যক স্কুল ছিল, যেকোনো ধরণেরই হোক না কেন। ধনী পরিবারের শিশুরা ব্যক্তিগত শিক্ষকের অধীনে পড়াশোনা করত। ধনী মেয়েরা 'নারীসুলভ শিল্পকলায়' শিক্ষিত হতো, তবে তাদের পাঠ্যক্রম ভাইদের মতো হতো না। মার্থা ওয়াশিংটনের নাতনি এলিজা কাস্টিস তার সৎপিতার বিদ্রূপের কথা বলেছিলেন, যখন তিনি বলেছিলেন "[আমার] দুঃখ লেগেছিল, তারা আমাকে গ্রিক ও লাতিন শেখাতে চায়নি, কারণ আমি মেয়ে — তারা হাসল এবং বলল, মেয়েদের এসব জানার দরকার নেই, সেলাই, লেখা, অঙ্ক এবং সংগীতই যথেষ্ট।"<ref>Edmund S. Morgan. Virginians At Home: Family Life in the Eighteenth Century. Charlottesville, VA: Dominion Books, 1962(1952). P. 17</ref> মধ্যবিত্ত শিশুরা বাবা-মায়ের কাছেই পড়া শিখত, আর গরিব শিশুদের অনেকেই, বিশেষ করে কৃষ্ণাঙ্গ শিশুরা, কোনো শিক্ষাই পেত না। দক্ষিণে স্বাক্ষরতার হার উত্তরাঞ্চলের তুলনায় কম ছিল, যা উনবিংশ শতাব্দী পর্যন্ত বজায় ছিল।<ref>A People and a Nation, Eighth Edition</ref>
[[File:Harvard Old College.jpg|thumb|১৬৩৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হার্ভার্ড যুক্তরাষ্ট্রের সর্বপ্রথম উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান।]]
১৬৯৩ সালে কলেজ অব উইলিয়াম অ্যান্ড ম্যারি প্রতিষ্ঠিত হয়, যা ছিল ভার্জিনিয়ার প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়। ১৮ শতক গড়িয়ে এলে এটি ধর্মতত্ত্বের বদলে আইনশাস্ত্রে বিশেষীকরণ শুরু করে।<ref>Morgan, p. 27.</ref> ১৭০১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ''Collegiate College''। ১৭১৮ সালে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির ওয়েলশ গভর্নর এলিহু ইয়েলের অনুদানে এর নাম হয় ইয়েল কলেজ। পরে আরও কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় গঠিত হয়, যার মধ্যে ১৭৪৭ সালের প্রিন্সটন অন্যতম। ১৮ শতকে কলেজের পাঠ্যক্রমে জ্যোতির্বিজ্ঞান, পদার্থবিজ্ঞান, আধুনিক ইতিহাস ও রাজনীতি বিষয়গুলো গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। কিছু কলেজ ১৮ শতকে নেটিভ আমেরিকান ছাত্রদের ভর্তি করার চেষ্টা করলেও আফ্রিকান-আমেরিকানদের ভর্তি করা হতো না।<ref>A People and a Nation, Eighth Edition</ref>
১৬৪০ সালে ''The whole Booke of Psalms Faithfully Translated into English Metre'', যা সাধারণভাবে বেই পসাল্ম বুক নামে পরিচিত, ক্যামব্রিজ, ম্যাসাচুসেটসে মুদ্রিত হয়। এটি ছিল নতুন পৃথিবীতে (নর্থ আমেরিকায়) লেখা প্রথম বই। এই বিখ্যাত ও প্রভাবশালী সঙ্গীতবইটির পর নিউ ইংল্যান্ডে একটি পূর্ণাঙ্গ প্রকাশনা শিল্প গড়ে ওঠে। ১৬৮৭ সালের কিছু পর ''New England Primer'' প্রকাশিত হয়, যা শিশুদের পড়া ও বানানের সহায়ক হিসেবে ব্যবহৃত হতো।
একটি বিকল্প শিক্ষাপদ্ধতি দেখা যায় বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিনের প্রতিষ্ঠিত আমেরিকান অ্যাকাডেমিতে, যা ১৭৫১ সালে ফিলাডেলফিয়ায় গঠিত হয়। এই প্রতিষ্ঠানটি আধুনিক আমেরিকান হাই স্কুলের কাছাকাছি একটি মডেল ছিল, যেখানে পেশাগত শিক্ষা দেওয়া হতো। এ ধরণের স্কুল পরে ক্লাসিক্যাল সেকেন্ডারি স্কুলের সংখ্যাকে ছাড়িয়ে যায়। তবে ফ্রাঙ্কলিনের অ্যাকাডেমিও ছিল ব্যক্তিমালিকানাধীন, ফলে এ শিক্ষালাভ সম্ভব ছিল কেবল অর্থবিত্তশালীদের জন্য।
এই সময়কালে উপনিবেশবাসীরা নেটিভ আমেরিকানদের খ্রিস্টধর্মে ধর্মান্তরিত করার চেষ্টা চালায়।<ref>http://www.encyclopedia.com/doc/1G2-2536600517.html</ref>
== পুনঃমূল্যায়ন প্রশ্নাবলী ==
১. নিচের উপনিবেশগুলোর মধ্যে একটি নির্বাচন করুন: নিউ ইয়র্ক, ভার্জিনিয়া, ম্যাসাচুসেটস, জর্জিয়া। এটি উপনিবেশের কোন তিনটি অঞ্চলের মধ্যে অবস্থিত? কেন এবং কীভাবে এটি শুরুতে উপনিবেশিকৃত হয়েছিল? এর অভিবাসী ও তাদের অনুসৃত ধর্ম কিভাবে ওই অঞ্চলের ওপর প্রভাব ফেলেছিল?
২. ব্রিটিশরা কেন উপনিবেশগুলোর সঙ্গে হস্তক্ষেপ করেছিল?
==উৎসসমূহ==
{{reflist}} {{chapnav|Exploration|Road to Revolution}} {{status|100%}} {{BookCat}}
maotiol3kqfd2d2m41rcx47kmj4e6q4
84818
84817
2025-06-18T09:37:08Z
Mehedi Abedin
7113
84818
wikitext
text/x-wiki
== উপনিবেশ স্থাপনের ধরণ ==
রেনেসাঁ যুগে গ্রেট ব্রিটেনের দ্বীপগুলোতে ব্যাপক পরিবর্তন আসে, যার ফলে ইংল্যান্ডের চার্চ প্রতিষ্ঠিত হয়, ব্রিটিশ গৃহযুদ্ধ সংঘটিত হয় এবং অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও আইনগত ব্যবস্থার সম্পূর্ণ রূপান্তর ঘটে। তবুও এই সময়কালে, অন্যান্য জাতি এবং আমেরিকার নিজস্ব আদিবাসীদের চাপ সত্ত্বেও, ইংরেজদের একটি বৈচিত্র্যময় উপনিবেশ গড়ে ওঠে এবং সফল হয়।
এই নতুন উপনিবেশগুলো তিনটি ভিন্ন উপায়ে অর্থায়িত হয়েছিল। একটি পদ্ধতিতে, '''কর্পোরেট উপনিবেশ''' যৌথ স্টক কোম্পানির মাধ্যমে স্থাপিত হতো। যৌথ স্টক কোম্পানি এমন একটি প্রকল্প যেখানে লোকেরা একটি নতুন উপনিবেশ গড়ে তুলতে শেয়ার কিনে বিনিয়োগ করত। উপনিবেশটির সফলতার ওপর ভিত্তি করে, প্রতিটি বিনিয়োগকারী তার ক্রয়কৃত শেয়ারের অনুপাতে লাভ পেত। এই বিনিয়োগ সম্পূর্ণভাবে নিজে উপনিবেশ শুরু করার চেয়ে কম ঝুঁকিপূর্ণ ছিল এবং প্রতিটি বিনিয়োগকারী উপনিবেশ পরিচালনায় প্রভাব ফেলতে পারত। তারা প্রায়ই নিজেদের জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করত। (অন্য মহাদেশে একটি যৌথ স্টক কোম্পানির উদাহরণ হলো ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি)। ভার্জিনিয়ায় এইভাবে বসতি স্থাপন করা হয়েছিল।
'''প্রোপ্রাইটারি উপনিবেশ''' ছিল কোনো ব্যক্তি বা পরিবারের মালিকানাধীন, যারা তাদের ইচ্ছামতো আইন প্রণয়ন ও কর্মকর্তাদের নিয়োগ করত। এই মালিকানার কারণেই উন্নয়ন সরাসরি সংঘটিত হতো। চার্লস দ্বিতীয় উইলিয়াম পেনকে বর্তমান পেনসিলভেনিয়া অঞ্চলটি প্রদান করেন। পেনের নতুন উপনিবেশ কোয়াকারদের আশ্রয় দেয়, যারা ছিল সহস্রাব্দবাদী প্রোটেস্ট্যান্টদের একটি দল হিসেবে ইংল্যান্ডের চার্চের বিরোধিতা করত। (কোয়াকারদের মন্ত্রী থাকত না এবং তারা ধর্মীয় বা নাগরিক বৈষম্যকে মানত না, যা তাদের শ্রেণিভিত্তিক সমাজে বিপজ্জনক উপাদান করে তুলেছিল)। পেন ছিলেন একজন স্পষ্টবাদী কোয়াকার এবং তিনি কোয়াকার বিশ্বাস রক্ষায় অনেক প্রচারপত্র লিখেছিলেন। তিনি অন্যান্য দেশ ও প্রোটেস্ট্যান্ট সংখ্যালঘুদের—এমনকি কিছু ক্যাথলিককেও—উপনিবেশে আসতে আমন্ত্রণ জানান।
সবশেষে, '''রাজকীয় উপনিবেশ''' ছিল রাজা কর্তৃক সরাসরি নিয়ন্ত্রিত এবং সেখানে রাজার নিযুক্ত রাজ্যপাল থাকত। তবে রেজাল্টিং সেটেলমেন্ট বা গঠিত উপনিবেশগুলো সবসময় ইংল্যান্ডের অনুরূপ ছিল না। উদাহরণস্বরূপ, অষ্টম হেনরির শাসনকালে ইংল্যান্ড ক্যাথলিক ধর্ম থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছিল এবং পুরাতন বিশ্বাসকে শুধু ধর্মীয় ভ্রান্তি নয়, বরং বিদেশি আধিপত্যের পূর্বাভাস হিসেবে দেখা হতো। তবুও, মেরিল্যান্ডে ক্যাথলিকদের প্রতি সহনশীলতা ব্রিটিশ মুকুটের পক্ষ থেকে একটি অনুগ্রহ হিসেবে দেওয়া হয়েছিল। ১৬৩৪ সালে লর্ড বাল্টিমোর ইংল্যান্ডের জর্জ ক্যালভার্টকে ভার্জিনিয়ার উত্তরে ও পেনসিলভেনিয়ার দক্ষিণে একটি সরু ভূমি অঞ্চলে একটি ক্যাথলিক উপনিবেশ স্থাপন করার জন্য নিয়োগ দেন রাজকীয় সনদের মাধ্যমে। পনেরো বছর পরে, ১৬৪৯ সালে, তিনি সহনশীলতা আইনে স্বাক্ষর করেন, যা উপনিবেশবাসীদের জন্য ধর্মীয় স্বাধীনতা ঘোষণা করে। মূল সনদ সত্ত্বেও পরে প্রোটেস্ট্যান্টরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ ধর্মে পরিণত হয়। লর্ড বাল্টিমোরের মৃত্যুর কয়েক বছর পর, মেরিল্যান্ডের একজন বিশিষ্ট জমিদারের স্ত্রী মার্গারেট ব্রেন্ট উপনিবেশের গভর্নর হিসেবে তার উইল কার্যকর করেন। তিনি উপনিবেশগুলোতে লিঙ্গভিত্তিক সামাজিক নিয়ম ভেঙে দেন, কারণ তিনি ছিলেন ইংরেজ উপনিবেশে প্রথম অ-রাজপরিবারভুক্ত নারী শাসক।
== ম্যাসাচুসেটস বে উপনিবেশ ==
''ম্যাসাচুসেটস বে উপনিবেশ'' আরেকটি কর্পোরেট উপনিবেশ, যা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ইংল্যান্ড থেকে দূরে এমন একটি জায়গা হিসেবে, যেখানে ধর্মীয় ভিন্নমতাবলম্বীরা বসবাস করতে পারতো। পিউরিটানরা ছিল কট্টর প্রোটেস্টান্টদের একটি দল, যারা বাইবেলের মূল ধর্মে ফিরে যাওয়ার দাবি করত। তারা ইংল্যান্ডের রাষ্ট্রীয় চার্চের বিরোধিতা করায় নির্যাতনের শিকার হয় এবং অনেকেই প্রাণ হারায়। ১৬২০ সালে, ৪১ জন পিউরিটান (যারা নিজেদের "তীর্থযাত্রী" বা পিলগ্রিমস বলত) নতুন পৃথিবীর উদ্দেশ্যে যাত্রা করে।
পিলগ্রিমদের সমসাময়িক বিবরণ অনুযায়ী, তাদের মূল পরিকল্পনা ছিল বর্তমানে নিউ ইয়র্কের লং আইল্যান্ডের নিকটে হাডসন নদীর অঞ্চলে উপনিবেশ স্থাপন। কেপ কড দর্শনের পর তারা দক্ষিণ দিকে হাডসন নদীর দিকে যেতে চাইলেও, বিপজ্জনক সমুদ্রের সম্মুখীন হয়ে প্রায় জাহাজডুবির শিকার হয়। ফলে তারা আরেকবার দক্ষিণে যাওয়ার ঝুঁকি না নিয়ে কেপ কডেই ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নেয়। কয়েক সপ্তাহ ধরে উপযুক্ত উপনিবেশ স্থাপনের স্থান খোঁজার পর, মেফ্লাওয়ার জাহাজের যাত্রীরা অবশেষে বর্তমান ম্যাসাচুসেটসে ১৬২০ সালের ২৬ ডিসেম্বর প্লাইমাউথ-এ নোঙর করে। তখনকার সেখানে বসবাসকারী একটি আদিবাসী গোত্রের নামানুসারে তারা এটি "ম্যাসাচুসেটস" নামে অভিহিত করে।
[[File:The Mayflower Compact 1620 cph.3g07155.jpg|thumb|মেফ্লাওয়ারের যাত্রীরা "মেফ্লাওয়ার কম্প্যাক্ট"-এ স্বাক্ষর করছে]]
জন কারভারের মৃত্যুর পর গভর্নর দ্বারা নির্বাচিত উইলিয়াম ব্র্যাডফোর্ড একটি জার্নাল লেখেন, যা উপনিবেশবাসীদের দুঃখ-কষ্ট, আদিবাসীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ এবং পরবর্তীতে উপনিবেশের সাফল্য বোঝার জন্য গুরুত্বপূর্ণ দলিল হিসেবে বিবেচিত। পিলগ্রিমরা নিজেদের শাসনের জন্য মেফ্লাওয়ার কম্প্যাক্ট নামক এক চুক্তির মাধ্যমে একমত হয়, যা মেফ্লাওয়ার জাহাজেই স্বাক্ষরিত হয়। দুই বছর পর, তারা কমপ্যাক্টের অধীনে শুরু করা যৌথ মালিকানাভিত্তিক ব্যবস্থাকে ত্যাগ করে এবং ১৬২৩ সালে প্রতিটি পরিবারকে স্বতন্ত্র জমি ভাগ করে দেয়।
দশ বছর পরে, যৌথ স্টকভিত্তিক ম্যাসাচুসেটস বে কোম্পানি ইংল্যান্ডের রাজা চার্লসের কাছ থেকে একটি সনদ লাভ করে। প্লাইমাউথ উপনিবেশ পরে ম্যাসাচুসেটস বে উপনিবেশের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায়, তবে ১৬৯১ সাল পর্যন্ত এটি আলাদা অবস্থায় ছিল।
পরবর্তীতে, আরও বড় একটি পিলগ্রিম দল নতুন ম্যাসাচুসেটস বে উপনিবেশে অভিবাসন করে। যদিও এটি ইংল্যান্ডের রাষ্ট্রীয় চার্চের অনুসারী ছিল, উপনিবেশটি ধর্মীয় স্বাধীনতা দেয়নি। শুধুমাত্র (পুরুষ) পিউরিটানদের ভোটাধিকার ছিল, সহনশীলতা আইনের মাধ্যমে উপনিবেশে পিউরিটান ধর্মকে সরকারি ধর্ম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা হয় এবং যারা তাদের গির্জায় যেত না, তাদের শাস্তি দেওয়া হতো।
== নিউ ইয়র্ক ==
অন্যান্য দেশসমূহও অনুসন্ধান তহবিল জোগাতে যৌথ-স্টক কোম্পানি ব্যবহার করেছিল। ১৬০৯ সালে ডাচ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি উত্তর আমেরিকার পূর্ব উপকূলে ৩৮ থেকে ৪৫ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ পর্যন্ত বিস্তৃত একটি ভূখণ্ড আবিষ্কার করে। এটি ছিল হালভ মিন ("হাফ মুন") নামক একটি ইয়টের অভিযান, যার নেতৃত্বে ছিলেন হেনরি হাডসন। আদ্রিয়ান ব্লক এবং হেনড্রিক ক্রিস্টিয়ানস্ ১৬১১ থেকে ১৬১৪ সাল পর্যন্ত ঐ অঞ্চলের অনুসন্ধান চালান। ১৬১৪ সালের মার্চ মাসে নেদারল্যান্ডসের শাসন সংস্থা রাজ্য জেনারেল নতুন পৃথিবীতে বাণিজ্যের জন্য একচেটিয়া পেটেন্ট ঘোষণা করে। রাজ্য জেনারেল নিউ নেদারল্যান্ড উন্নয়নের জন্য একটি ব্যক্তিগত বাণিজ্যিক উদ্যোগ হিসেবে পেটেন্ট ইস্যু করে। নদীপথের সুরক্ষা এবং আদিবাসীদের সাথে বাণিজ্যের জন্য বর্তমানে আলবানি এলাকায় দ্রুত ফোর্ট ন্যাসাও নির্মাণ করা হয়। ১৬২৪ সালে নিউ নেদারল্যান্ড ডাচ প্রজাতন্ত্রের একটি প্রদেশে পরিণত হয়। পরবর্তীতে ইংরেজরা কেপ কডের উত্তরে অনুপ্রবেশ করায় উত্তর সীমা ৪২ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশে নামিয়ে আনা হয়।
ল অফ নেশনস অনুযায়ী, কোনো অঞ্চলের দাবি প্রতিষ্ঠা করতে হলে শুধু আবিষ্কার ও মানচিত্র তৈরিই নয়, বসতি স্থাপনও প্রয়োজন ছিল। ১৬২৪ সালের মে মাসে ডাচরা ৩০টি পরিবারকে নটেন এইলান্তে (বর্তমান গভর্নরস আইল্যান্ড) অবতরণ করিয়ে তাদের দাবি পূর্ণতা দেয়।
পরবর্তী কয়েক দশকে অদক্ষ ডিরেক্টর-জেনারেলদের দ্বারা নিউ নেদারল্যান্ড পরিচালিত হয়। উপনিবেশবাসীরা আদিবাসীদের আক্রমণের শিকার হন এবং ব্রিটিশ ও ডাচ সংঘাত উপনিবেশ ধ্বংসের পথে ঠেলে দেয়। কিন্তু ১৬৪৭ সালে পিটার স্টাইভসান্ট ডিরেক্টর-জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর সবকিছু বদলে যায়। উপনিবেশে এসে তিনি বলেছিলেন, “আমি তোমাদেরকে এক পিতার মতো শাসন করব।” তিনি উপনিবেশের সীমানা সম্প্রসারণ করেন। ১৬৫৫ সালে তিনি উত্তর ইউরোপের একমাত্র বসতি নিউ সুইডেন জয় করেন। ১৬৫০ সালে নিউ ইংল্যান্ডের সাথে সীমানা বিরোধ নিষ্পত্তি করেন। তিনি আদিবাসীদের হামলার বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা উন্নত করেন, এবং ১৬৪০ সালে যেখানে জনসংখ্যা ছিল ৫০০, তা ১৬৬৪ সালের মধ্যে বেড়ে দাঁড়ায় ৯,০০০-এ। কিন্তু ১৬৬৪ সালের আগস্ট মাসে চারটি ইংরেজ যুদ্ধজাহাজ নিউ ইয়র্ক বন্দরে এসে উপনিবেশ আত্মসমর্পণের দাবি করে। প্রথমে স্টাইভসান্ট প্রতিরোধ করার শপথ করেন, কিন্তু পর্যাপ্ত গোলাবারুদ ও বারুদের অভাবে এবং উপনিবেশবাসীদের দুর্বল সমর্থনে তিনি আত্মসমর্পণে বাধ্য হন। নিউ নেদারল্যান্ড পরবর্তীতে ব্রিটিশ ইয়র্কের ডিউকের সম্মানে "নিউ ইয়র্ক" নামে পরিচিত হয়।
বাণিজ্যে প্রাধান্য অর্জনের উদ্দেশ্যে ইংরেজরা ১৬৬৪ সালে ডাচদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। তারা আমেরিকার আটলান্টিক উপকূলে ডাচ বন্দর নিউ অ্যামস্টারডাম দখল করে। রাজা দ্বিতীয় চার্লসের ভাই জেমস নিউ অ্যামস্টারডাম এবং এর আশেপাশের ডাচ অঞ্চলগুলোর সনদ লাভ করেন।
১৬৭৩ সালে ডাচরা মিচিয়েল ডি রুইটারের নেতৃত্বে সাময়িকভাবে আবার নিউ নেদারল্যান্ড পুনর্দখল করে, এবং এইবার এর নাম দেয় নিউ অরেঞ্জ। কিন্তু তৃতীয় ইঙ্গ-ডাচ যুদ্ধের শেষে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হলে তারা অঞ্চলটি আবার ইংরেজদের কাছে ফিরিয়ে দেয়।
== অন্যান্য প্রারম্ভিক উপনিবেশে উপনিবেশ স্থাপনের ধরণ ==
ক্যারোলিনা অঞ্চলের নামকরণ করা হয়েছিল ব্রিটিশ রাজা প্রথম চার্লসের নামানুসারে, এবং এটি একটি মালিকানাভিত্তিক উপনিবেশ হিসেবে আটজন অভিজাত ব্যক্তিকে প্রদান করা হয়। এই মালিকগণ ক্যারোলিনাকে দুটি পৃথক উপনিবেশে ভাগ করে দেন – ''উত্তর ক্যারোলিনা'' এবং ''দক্ষিণ ক্যারোলিনা''।
চারটি উপনিবেশ ইতিমধ্যেই বিদ্যমান বৃহত্তর ভূখণ্ড থেকে বিভাজনের মাধ্যমে গঠিত হয়েছিল। নিউ হল্যান্ড যখন দখল করে নিউ ইয়র্কে রূপান্তরিত করা হয়, তখন রাজা জেমস ভূখণ্ডের একটি অংশ, বর্তমান ''নিউ জার্সি'', লর্ড বার্কলি ও স্যার জর্জ কার্টারেটকে প্রদান করেন, এবং বর্তমান নিউ ইয়র্ক নিজের জন্য একটি মালিকানাভিত্তিক উপনিবেশ হিসেবে রাখেন। স্যার জর্জ এসেছিলেন জার্সি দ্বীপপুঞ্জ থেকে, এবং সেই অনুযায়ী নতুন উপনিবেশের নাম রাখা হয়। ভূখণ্ডের আরেকটি অংশ হয়ে ওঠে ক্রাউন নিয়ন্ত্রিত উপনিবেশ ''কানেকটিকাট''। এই উপনিবেশের নামকরণ করা হয় সেখানকার আদি ইন্ডিয়ান জনগোষ্ঠীর নামানুসারে। ১৭০৪ সালে পেনসিলভানিয়ার একটি কোণ বিচ্ছিন্ন হয়ে ''ডেলাওয়্যার'' উপনিবেশে পরিণত হয়, যেখানে কোয়াকাররা বসবাস করত না। এর নামকরণ করা হয় টমাস ওয়েস্ট, তৃতীয় ব্যারন ডি লা ওয়্যারের নামে, যিনি ছিলেন রানি এলিজাবেথের আমলের একজন অভিজাত এবং খ্যাতিমান অভিযাত্রী।
''রোড আইল্যান্ড'' ছিল ধর্মীয় ও রাজনৈতিক স্বাধীনতার একটি অনন্য পরীক্ষা। রজার উইলিয়ামস যখন প্রচার করতে থাকেন যে যিশু খ্রিস্ট চেয়েছিলেন যাতে গির্জা শাসনক্ষমতা থেকে পৃথক থাকে, তখন ম্যাসাচুসেটস তাকে নির্বাসিত করে। চার্চ অব ইংল্যান্ড এবং পরবর্তীতে পিউরিটানদের বিরোধিতা করা এই ব্যক্তি হন প্রথম আমেরিকান ব্যাপটিস্ট। অন্যান্য উপনিবেশে নানা অভিযানের পর তিনি নারাগানসেট ইন্ডিয়ানদের কাছ থেকে জমি কিনে একটি নতুন বসতি স্থাপন করেন। প্রভিডেন্স গঠিত হয়েছিল ধর্মীয় জটিলতা থেকে মুক্ত একটি উপনিবেশ এবং বিবেকবান মানুষের আশ্রয়স্থল হিসেবে। পরে তার অনুসরণে আসেন অ্যান হাচিনসন। তিনি বোস্টনের ধর্মীয় নেতাদের ক্ষুব্ধ করেছিলেন কারণ তিনি একজন নারী হয়েও প্রচার করতেন, এবং তিনি বিশ্বাস করতেন যে কার্যের সঙ্গে কৃপার সম্পর্ক সবসময় থাকে না, যা পিউরিটান মতবাদের বিরুদ্ধে। তিনিও ইন্ডিয়ানদের কাছ থেকে জমি কিনেছিলেন। সেখানে গঠিত হয় ''পোর্টসমাউথ'' নামের বসতি, এবং পরে একটি মতানৈক্যপূর্ণ সহোদর শহর ''নিউপোর্ট''। উপনিবেশটি আংশিকভাবে আকুইডনেক দ্বীপের উপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠে, যা পরবর্তীতে অজানা কারণে রোড আইল্যান্ড নামে পরিচিতি পায়, এবং পুরো উপনিবেশের নাম ওই স্থান থেকে নেওয়া হয়।
''জর্জিয়া'' ছিল আরেকটি মালিকানাভিত্তিক উপনিবেশ, যা রাজা প্রথম জর্জের নামানুসারে নামকরণ করা হয়। ১৭৩২ সালে জেমস ওগলথর্প ও অন্যান্যদের কাছে এর চার্টার প্রদান করা হয়। এটি অন্যান্য উপনিবেশকে ফ্লোরিডার স্প্যানিশ ও লুইজিয়ানার ফরাসিদের আক্রমণ থেকে রক্ষার জন্য একটি "বাফার" উপনিবেশ হিসেবে পরিকল্পিত ছিল। এই কারণে, জর্জিয়া ছিল একমাত্র উপনিবেশ যেটি প্রতিষ্ঠার সময় থেকেই ব্রিটিশ রাজশক্তির আর্থিক সহায়তা পেয়েছিল। তৎকালীন ব্রিটেনে ঋণগ্রস্ত মানুষদের কারাগারে পাঠানো হতো। এই ধরনের অনেক বন্দিকে অতিরিক্ত ভিড়যুক্ত জেল থেকে মুক্ত করে জর্জিয়া উপনিবেশে পাঠানো হয়। তখন আমেরিকাকে ইতিমধ্যে সমৃদ্ধির ভূমি হিসেবে দেখা হচ্ছিল, এবং ওগলথর্প আশা করেছিলেন এই প্রাক্তন বন্দিরা দ্রুত সৎ ও ধনী হয়ে উঠবে। কিন্তু লন্ডনের জেলখানার অধিকাংশ বন্দিই নতুন অজানা বন্য অঞ্চলে টিকে থাকার জ্ঞান রাখত না।
== ব্রিটিশ উপনিবেশগুলোর একটি চিত্র ==
উপনিবেশগুলোকে প্রায়শই তিনটি ভাগে বিবেচনা করা হয়: '''নিউ ইংল্যান্ড''' (নিউ হ্যাম্পশায়ার, ম্যাসাচুসেটস, রোড আইল্যান্ড, কানেকটিকাট), '''দক্ষিণ উপনিবেশসমূহ''' (মেরিল্যান্ড, ভার্জিনিয়া, ক্যারোলিনাসমূহ এবং জর্জিয়া), এবং '''মধ্য উপনিবেশসমূহ''' (নিউ ইয়র্ক, নিউ জার্সি, পেনসিলভানিয়া এবং ডেলাওয়্যার)। কখনও কখনও ক্যারোলিনাগুলো এবং জর্জিয়াকে চেসাপিক উপনিবেশ থেকে আলাদাভাবে গণ্য করা হয়।
প্রত্যেকটি গোষ্ঠীর ভৌগোলিক ও অর্থনৈতিক বৈশিষ্ট্য ছিল। নিউ ইংল্যান্ডের পাথুরে মাটি কেবল ছোট খামারের পক্ষে উপযুক্ত ছিল এবং কৃষিকাজের সুযোগ সীমিত ছিল। ফলে, এই অঞ্চলের লোকেরা অর্থ উপার্জনের জন্য মাছ ধরা, বনজ সম্পদ আহরণ, জাহাজ পরিবহন ও ক্ষুদ্র শিল্পের ওপর নির্ভর করত।<ref>{{cite book |last = Morison |first = Samuel Eliot |coauthors = |title = The Oxford History of the American People |publisher = Mentor |year = 1972 |location = New York City |pages =199–200 |url = |doi = |id = |isbn = 0451-62600-1 }}</ref>
দক্ষিণ উপনিবেশের উর্বর জমি ব্যক্তি মালিকদের দ্বারা দখল হয়, যারা বড় আকারের খামার তৈরি করে তামাক এবং পরবর্তীতে তুলা চাষ করত। ক্যারোলিনাদ্বয়ে চিনি, ধান ও নীল গাছও চাষ হতো। ১৭শ শতকে এসব ফসল খাটিয়ে নেওয়া হতো চুক্তিভিত্তিক শ্রমিকদের দ্বারা, যারা আমেরিকায় আসার জন্য ভাড়ার বিনিময়ে নির্দিষ্ট বছর কাজ করত এবং পরবর্তীতে জমির অধিকার পেত। এদের অনেকেই চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই মারা যেত। ১৬৭৬ সালে চুক্তিভিত্তিক শ্রমিকদের একটি দল বেকনের বিদ্রোহে অংশগ্রহণ করে। এই বিদ্রোহের পর বৃহৎ খামারগুলো আফ্রিকান ক্রীতদাসদের কাজে লাগাতে শুরু করে। যদিও অনেক চুক্তিভুক্ত শ্বেতাঙ্গ পরবর্তীতে মুক্ত হয়, তারা সামাজিকভাবে নিম্নবর্গেই থেকে যায়, যদিও তারা ক্রমাগত কঠোরতর দাসবিধির আওতায় পড়ত না—এই দাসবিধিগুলো দক্ষিণ উপনিবেশে দাসদের প্রায় সব স্বাধীনতা অস্বীকার করত। মার্কিন বিপ্লবের সময়, প্রতি পাঁচজন উপনিবেশবাসীর মধ্যে একজন ছিলেন আফ্রিকান দাস। আর দক্ষিণে দাসশ্রমে উৎপন্ন পণ্যই ছিল মধ্য উপনিবেশ ও নিউ ইংল্যান্ডের শহরগুলোর ভোগ ও বাণিজ্যের প্রধান উপকরণ। খুব কম লোকই দাসভিত্তিক অর্থনীতিকে প্রশ্ন করত।
মধ্য উপনিবেশে ছিল মাঝারি আকারের খামার। এসব উপনিবেশে ছিল বিভিন্ন সংস্কৃতি ও বিশ্বাসের মানুষ। এই রাজ্যগুলোতেও চুক্তিভিত্তিক শ্রমিক এবং পরে দাস ব্যবহার করা হতো, কিন্তু দক্ষিণ উপনিবেশের মতো বিশালসংখ্যক দাসশ্রমের ব্যবহার সেখানে দেখা যেত না।
আরেকটি পার্থক্য ছিল ধর্মীয় চর্চায়। নিউ ইংল্যান্ড ছিল মূলত কনগ্রিগেশনালিস্ট, কিছুটা প্রেসবিটারিয়ান এবং নিজেকে ব্যাপটিস্ট দাবি করা ধর্মীয় অসামঞ্জস্যবাদীদের উপস্থিতি ছিল। তারা সবাই ছিলেন ব্রিটিশ গৃহযুদ্ধের পূর্ব ও সময়কার ধর্মীয় ভিন্নমতাবলম্বীদের উত্তরসূরি। দক্ষিণে প্রধানত অ্যাংলিকানরা ছিল, যারা ধর্মীয় ও ধর্মবহির্ভূত ঐতিহ্য ও ছুটির দিনগুলোকে মূল্য দিত। মধ্য উপনিবেশে ছিল হল্যান্ড, জার্মান ভূখণ্ড ও এমনকি বোহেমিয়ার ছোট ছোট জনগোষ্ঠী, যারা নিয়ে এসেছিল ক্যাথলিক ও প্রোটেস্টান্ট বিশ্বাসের বৈচিত্র্য।
যেসব শ্বেতাঙ্গকে ইংরেজ কর্তৃপক্ষ আমেরিকায় পাঠিয়েছিল, তাদের মধ্যে অনেক স্কটস-আইরিশ ছিল, যারা আলস্টার থেকে আগত। এরা ছিল ক্যালভিনবাদী প্রোটেস্টান্ট, যাদের অবস্থান ছিল আইরিশ ক্যাথলিক সংখ্যাগোষ্ঠীর মধ্যে এবং তারা উভয় পক্ষ ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধেই অবস্থান করত। এই সংখ্যালঘু দল অ্যাপালাচিয়ান পর্বতমালা এবং পরে ওহাইও ও মিসিসিপি অঞ্চলের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে বসতি স্থাপন করেছিল। আমেরিকায় তারা ভূমি ও স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষায় সামান্য খরচে উপনিবেশের সীমান্তকে পশ্চিম দিকে প্রসারিত করেছিল, এবং পূর্বাঞ্চলের বসতিগুলো ও স্থানচ্যুত আদিবাসী গোষ্ঠীর মধ্যে একপ্রকার সশস্ত্র সীমানা রক্ষা করেছিল। উপনিবেশিক সীমান্তবাসীদের জীবন ছিল অত্যন্ত কষ্টকর—তারা নিজের হাতে ঘন বনাঞ্চলে শহর ও খামার গড়ে তুলত, দারিদ্র্য ও আদিবাসী আক্রমণের মুখোমুখি হয়ে।
প্রত্যেকটি উপনিবেশ স্থানীয় ধর্মবিশ্বাস ও সামর্থ্য অনুযায়ী শিক্ষাদান ও বিনোদনের নিজস্ব ক্ষেত্র গড়ে তোলে। দক্ষিণাঞ্চলের সংস্কৃতিতে সংগীতনাট্যে আগ্রহ দেখা যায়, যার কেন্দ্র ছিল চার্লসটন, সাউথ ক্যারোলিনা এবং উইলিয়ামসবার্গ, ভার্জিনিয়া। ১৭৫০ সালে নিউ ইয়র্ক সিটিতে শেক্সপিয়ারের "রিচার্ড থার্ড" নাটকের একটি পেশাদার পরিবেশনা হয়, যা ছিল আমেরিকায় শেক্সপিয়ারের প্রথম পেশাদার নাট্য পরিবেশনা। প্রচারক, বক্তা ও গায়করা উপনিবেশবাসীদের বিনোদন দিতেন।
তাদের মধ্যে পার্থক্যের চেয়ে মিলই ছিল বেশি। তিনটি অঞ্চলেই জনসংখ্যা প্রধানত ব্রিটিশ দ্বীপপুঞ্জ থেকে আগত। প্রত্যেকটির সড়কব্যবস্থা ছিল অত্যন্ত খারাপ, এবং আটলান্টিক মহাসাগরের মাধ্যমে তারা পরিবহণের সংযোগ রাখত। এরা সবাই আটলান্টিক অর্থনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিল। আটলান্টিক অঞ্চলের বণিকেরা জাহাজে করে আমেরিকা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ইউরোপ এবং আফ্রিকার মধ্যে দাস, তামাক, রাম, চিনি, সোনা, রূপা, মসলা, মাছ, কাঠ এবং প্রস্তুত পণ্য আদান-প্রদান করত।<ref>{{cite book|title=Cod: A Biography of the Fish That Changed the World|last=Kurlansky|first=Mark|publisher=New York: Walker|isbn=0-8027-1326-2}}</ref> নিউ ইয়র্ক, ফিলাডেলফিয়া, বোস্টন ও চার্লসটন ছিল সে সময়ের বৃহত্তম শহর এবং প্রধান বন্দর।<ref>{{cite web| url= http://www.census.gov/population/www/documentation/twps0027/tab02.txt| title= Earliest Population Figures for American Cities | author= U.S. Census Bureau|accessdate=2010-08-29}}</ref>
== প্রাথমিক প্রযুক্তি ==
প্রথম দফার উপনিবেশকারীরা খেটে খাওয়া শ্রমের মাধ্যমে তাদের খামার চাষ করতেন এবং কুমারশিল্প ও চামড়া ট্যানিংয়ের মতো ভূমিভিত্তিক হস্তশিল্প গড়ে তুলেছিলেন। পরবর্তী সময়ে জাহাজে করে গরু ও ঘোড়া আনা হলে খসড়া প্রাণী অর্থনীতির অংশ হয়ে ওঠে। চুক্তিভিত্তিক শ্রমিক এবং পরে আফ্রিকা থেকে অপহৃত দাসদের আমদানি করা হয়। তখনই বৃহৎ আকারের প্ল্যান্টেশন স্থাপিত হতে শুরু করে। অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষভাগে ছোট পরিসরে যন্ত্রনির্ভর উৎপাদনশিল্প দেখা দেয়। লোকজন কয়লা ও লৌহ আকরিক খনন শুরু করে। নিউ ইংল্যান্ড ওই আকরিক ব্যবহার করে নির্মাণ সরঞ্জাম ও ঘোড়ার নাল তৈরি করতে শুরু করে। দক্ষিণের তুলার ওপর নির্ভরশীল একটি নতুন বস্ত্রশিল্প গড়ে ওঠে। কাঠ বা কয়লা দ্বারা চালিত এবং শক্তিশালী ধাতুর চাহিদায় পরিচালিত গৃহস্থালির ধাতুকর্মে লোহা গলানোর নতুন কৌশল উদ্ভাবিত হয়। লোহার কাজ করা কারিগর ও টিনশিল্পীরা বড় বসতিগুলোর অংশ হয়ে ওঠে। উপনিবেশগুলো যান্ত্রিক ঘড়ি, আগ্নেয়াস্ত্র এবং ছাপাখানার জন্য সীসা টাইপ তৈরি করতে শুরু করে।
<gallery mode="packed" heights="150px">
File:The Francis Skerry Beaker, Jeremiah Dummer, American, c. 1670, silver - Fogg Art Museum, Harvard University - DSC01384.jpg|১৬৭০ সালের কাছাকাছি সময়ে আমেরিকায় জন্মগ্রহণকারী প্রথম রূপকার [[w:Jeremiah Dummer (silversmith)|জেরেমায়া ডামার]] নির্মিত একটি রূপার বীকার।
File:First Slave Auction 1655 Howard Pyle.jpg|১৬৫৫ সালে নিউ আমস্টারডামে অনুষ্ঠিত প্রথম দাস নিলামের চিত্র। (১৮৯৫ সালের চিত্রাঙ্কন)
File:WestFrontMansionMountVernon.jpg|মাউন্ট ভারন প্ল্যান্টেশন, নির্মিত ১৭৫৮ সালে। যখন জর্জ ওয়াশিংটন ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেন, তখনও তিনি তার নিজের দাসদের ধরে রেখেছিলেন, যারা নিজেরাও স্বাধীনতার অভাবে অসন্তুষ্ট ছিলেন।<ref>{{cite web |title=Resistance and Punishment |url=https://www.mountvernon.org/george-washington/slavery/resistance-and-punishment/ |website=George Washington's Mount Vernon |accessdate=19 September 2020 |language=en}}</ref>
File:Parkman Tavern, Concord MA.jpg|[[w:Parkman Tavern|পার্কম্যান ট্যাভার্ন]], কনকর্ড, ম্যাসাচুসেটস-এ ১৬৫৯ সালে নির্মিত।
</gallery>
== বাণিজ্যনৈতিক মতবাদ, সহনশীল অবহেলা ও ব্রিটিশ হস্তক্ষেপ ==
আমেরিকান উপনিবেশগুলো, যারা সমুদ্র দিয়ে বিচ্ছিন্ন একেবারে নতুন সমাজ ছিল, বিশ্বাস করত যে তাদের নিজেদের শাসনের অধিকার রয়েছে। এই বিশ্বাসকে উৎসাহিত করেছিল ব্রিটেনের গৌরবময় বিপ্লব এবং ১৬৮৯ সালের অধিকার বিল, যা পার্লামেন্টকে সর্বোচ্চ শাসনক্ষমতা দেয়। '''সহনশীল অবহেলার''' নামে পরিচিত অপেক্ষাকৃত শিথিল নিয়ন্ত্রণের এই নীতির অবসান ঘটে ব্রিটিশ নিয়ন্ত্রণ বৃদ্ধি পাওয়ার মাধ্যমে, যা বাণিজ্যনৈতিক মতবাদের প্রভাবে এবং লর্ডস অফ ট্রেড ও পরবর্তী ন্যাভিগেশন আইনগুলোর মাধ্যমে প্রতিফলিত হয়।
=== বাণিজ্যনৈতিক মতবাদ ===
পার্লামেন্ট, '''বাণিজ্যনৈতিক মতবাদ''' নামক অর্থনৈতিক নীতির অনুসরণে, উপনিবেশগুলোর বাণিজ্যের ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করে। এই মতবাদের মূল ধারণা ছিল—একটি জাতির অর্থনৈতিক শক্তি নির্ভর করে তার রপ্তানি পণ্যের মূল্যের ওপর। একটি দেশ তার উপনিবেশগুলোর মাধ্যমে কাঁচামালের পরিবর্তে প্রস্তুত পণ্য উৎপাদন করতে পারে। এই পণ্যগুলো অন্যান্য দেশের সঙ্গে বিনিময় করে উপনিবেশকারী দেশের শক্তি বাড়ানো সম্ভব। এই নীতির প্রবর্তক ছিলেন ফরাসি অর্থনীতিবিদ জঁ-বাতিস্ত কোলবে। এটি ব্রিটেনের জন্য অত্যন্ত উপযোগী মনে করা হয়। স্পেনের অর্থনৈতিক ভিত্তি ছিল আমেরিকান সোনা, আর ফ্রান্সের ছিল আমেরিকান পশম। ইংল্যান্ডের কাছে সোনা বা পশম ছিল না, তবে তাদের ছিল আমেরিকান তুলা, মলাসেস (আখের গুড়), তামাক, এবং উন্নত মানের জাহাজ। ১৭০০ শতকের মধ্যভাগ পর্যন্ত উপনিবেশগুলো “সহনশীল অবহেলা”-এর দীর্ঘ সময় উপভোগ করেছিল, যেখানে ব্রিটিশরা প্রায়ই উপনিবেশগুলিকে নিজেদের মতো করে পরিচালনা করতে দিত। এখন সেই সময় শেষ হয়।
=== লর্ডস অফ ট্রেড ===
বাণিজ্যনৈতিক নীতিগুলো কার্যকর করার প্রয়াসে রাজা দ্বিতীয় চার্লস প্রিভি কাউন্সিলের একটি নতুন কমিটি হিসেবে '''লর্ডস অফ ট্রেড''' গঠন করেন। এই লর্ডরা উপনিবেশগুলোর শাসন ইংরেজদের পক্ষে উপযোগী করার চেষ্টা করেন, উপনিবেশবাসীদের পক্ষে নয়।
লর্ডস অফ ট্রেড চেয়েছিল সমস্ত আমেরিকান উপনিবেশকে রাজকীয় উপনিবেশে রূপান্তর করতে, যাতে মুকুটের শক্তি বাড়ানো যায়। রাজা দ্বিতীয় জেমস-এর শাসনকালে (দ্বিতীয় চার্লসের উত্তরসূরি), নিউ ইয়র্ক, নিউ জার্সি এবং পুরিটান উপনিবেশগুলোকে একত্র করে ১৬৮৭ সালে “ডমিনিয়ন অব নিউ ইংল্যান্ড” গঠন করা হয়।
তবে এই ডমিনিয়ন অল্পদিন টিকে ছিল। দ্বিতীয় জেমস ছিলেন ক্যাথলিক, আর ব্রিটিশ প্রোটেস্টান্টরা তাকে হুমকি মনে করত। গৌরবময় বিপ্লবে (১৬৮৮) তাকে সিংহাসনচ্যুত করা হয় (পার্লামেন্ট তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে সিংহাসন ত্যাগ করানো হয়েছে বলে ধরে নেয়)। ১৬৮৯ সালে জেমসের কন্যা মেরি দ্বিতীয় ও তার স্বামী উইলিয়াম তৃতীয় যুগ্মভাবে সিংহাসনে বসেন। তবে প্রকৃত ক্ষমতা ছিল ব্রিটিশ পার্লামেন্টের হাতে। ডমিনিয়ন অব নিউ ইংল্যান্ড বিলুপ্ত হয়, পৃথক উপনিবেশগুলো পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয় এবং লর্ডস অফ ট্রেড বিলুপ্ত হয় (এর পরিবর্তে কেবল উপদেষ্টা ভিত্তিক একটি বোর্ড অফ ট্রেড গঠিত হয়)।
=== ন্যাভিগেশন আইনসমূহ ===
১৬৬০ সাল থেকে ইংল্যান্ডের পার্লামেন্ট '''ন্যাভিগেশন আইনসমূহ''' প্রণয়ন করতে থাকে, যাতে তারা তাদের উপনিবেশ থেকে বেশি লাভ তুলতে পারে। এসব আইনের অধীনে নির্ধারিত হয় যে যেকোনো উপনিবেশিক আমদানি-রপ্তানি কেবলমাত্র ইংল্যান্ডে নিবন্ধিত জাহাজে পরিবাহিত হতে পারবে—মানে শুধুমাত্র ইংল্যান্ডই শিপিং-এর ক্ষমতা ও এর থেকে আসা মুনাফা ভোগ করবে। তামাক ও চিনি রপ্তানি শুধুমাত্র ইংল্যান্ডে করা যাবে, অন্য কোনো দেশে নয়। (তখন তামাক ও চিনি দুটোই ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হতো—চিনির দ্বারা অ্যালকোহল তৈরি করা হতো যা ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হতো)। এবং উপনিবেশগুলো কোনো বিদেশি নির্মিত পণ্য আমদানি করতে পারত না, যদি না সেগুলো প্রথমে ইংল্যান্ডে নিয়ে যাওয়া হতো, সেখানে শুল্ক পরিশোধ করা হতো, তারপর সেগুলো উপনিবেশে পাঠানো হতো।
১৭৩০-এর দশকে, সুগার অ্যাক্ট অনুযায়ী উপনিবেশগুলোতে আমদানি হওয়া প্রতি গ্যালন চিনি বা মলাসেসের ওপর ছয় পেন্স কর আরোপ করা হয়। ১৭৫০ সালের মধ্যে পার্লামেন্ট আরও অনেক পণ্যের ওপর নিষেধাজ্ঞা, নিয়ন্ত্রণ বা কর আরোপ করতে শুরু করে। তারা উপনিবেশে সমস্ত ধরনের উৎপাদন ঠেকাতে চায়। এই নীতিগুলো উপনিবেশবাসীদের মধ্যে প্রবল ক্ষোভ সৃষ্টি করে, যদিও ইউরোপের অন্যান্য রাজতন্ত্রের প্রজাদের তুলনায় তাদের করভার তুলনামূলকভাবে কম ছিল।
উপনিবেশবাসীরা ন্যাভিগেশন আইনগুলোকে ঘৃণা করত, কারণ তারা বিশ্বাস করত যে নিজেরা বাণিজ্য করতে পারলে আরও সমৃদ্ধ ও ধনী হতে পারত। তারা আরও বিশ্বাস করত যে কিছু গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ ইংল্যান্ডে পাওয়া যায় না।
== ১৭০০-এর দশকে আদিবাসীরা ==
গ্রেট প্লেইন্স-এর আদিবাসীরা:
আজকের দিনে, যেই অঞ্চল জুড়ে গ্রেট প্লেইন্স-এর সমস্ত আদিবাসীরা বাস করতেন, তা রকি পর্বতমালা থেকে মিসিসিপি নদী পর্যন্ত বিস্তৃত। ১৭০০-এর দশকে, প্রায় ৩০টি গোত্র এই গ্রেট প্লেইন্স অঞ্চলে বসবাস করত। এই গোত্রগুলো মূলত খাদ্য এবং দৈনন্দিন অন্যান্য প্রয়োজনীয়তার জন্য মহিষের ওপর নির্ভর করত। আদিবাসীরা—বিশেষ করে নারীরা—তাদের পোশাক মহিষের চামড়া দিয়ে তৈরি করতেন, তবে তারা হরিণের চামড়াও ব্যবহার করতেন। নারীরা মৃত হরিণ বা মহিষের চামড়া জলে ভিজিয়ে রাখতেন এবং এরপর তার লোম চেঁছে ফেলতেন।<ref name="englar">Englar, Mary. The Great Plains Indians: Daily Life in the 1700s. Mankato, MN: Capstone, 2006. Print.</ref>
তদ্ব্যতীত, আদিবাসী গোত্রগুলো একে অপরের সঙ্গে বাণিজ্য করত। একজন ব্যক্তির কাছে যত বেশি ঘোড়া থাকত, তাকে তত বেশি ধনী বলে মনে করা হতো; আদিবাসীরা তাদের ঘোড়ার বিনিময়ে খাদ্য, যন্ত্রপাতি, অস্ত্র (যেমন বন্দুক), এবং পশুচর্ম বিনিময় করত। যেহেতু বিভিন্ন গোত্রের ভাষা একে অপরের থেকে ভিন্ন ছিল, তাই তারা পারস্পরিক বাণিজ্যের সময় সাঙ্কেতিক ভাষা ব্যবহার করত।<ref name="englar" />
== ফিলাডেলফিয়া নির্বাচনী দাঙ্গা ==
১৭৪২ সালে নির্বাচনের দিনে ফিলাডেলফিয়ায় একটি দাঙ্গা শুরু হয়, যার কারণ ছিল অ্যাঙ্গলিকান জনগণের কোয়াকার সংখ্যাগোষ্ঠীর সঙ্গে মতবিরোধ। এই দাঙ্গার মূল কারণ ছিল অ্যাঙ্গলিকান ও কোয়াকার জনগণের মধ্যে ক্ষমতার দ্বন্দ্ব। কোয়াকাররা ফিলাডেলফিয়ায় দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক আধিপত্য বজায় রেখেছিল। জার্মান জনগণ কোয়াকারদের ভোটকে সমর্থন করেছিল, কারণ কোয়াকার অহিংস নীতির ফলে কর বাড়ার সম্ভাবনা এবং শেষ পর্যন্ত বাধ্যতামূলক সৈন্যভর্তির আশঙ্কা কমে যেত। নির্বাচনের দিনে অ্যাঙ্গলিকান ও নাবিকেরা কোয়াকার এবং জার্মানদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। কোয়াকাররা কোর্টহাউসে আশ্রয় নিতে সক্ষম হয় এবং নির্বাচন সম্পন্ন করে। অ্যাঙ্গলিকান দল নির্বাচনে পরাজিত হয় এবং দাঙ্গার পর ৫৪ জন নাবিককে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়।
== শিক্ষা ==
১৭০০-এর দশকে উপনিবেশগুলোর তিনটি অঞ্চল ভিন্ন ভিন্ন আগ্রহসম্পন্ন জনগোষ্ঠী নিয়ে গঠিত ছিল, ফলে তারা তাদের শিশুদের জন্য ভিন্নধর্মী শিক্ষা প্রদান করত। যদিও কিছু সাধারণ বৈশিষ্ট্য ছিল — তিন অঞ্চলের যে কোনো ধনী পরিবার তাদের পুত্রকে ইউরোপে পড়তে পাঠাতে পারত — তবুও বিভিন্ন উপনিবেশে শিক্ষাদানের ধরণে পার্থক্য দেখা যেত।
নিউ ইংল্যান্ডে শিক্ষার উদ্দেশ্য ছিল সামাজিক ও ধর্মীয় উভয়ই। একজন সুশীল নাগরিককে অবশ্যই বাইবেল জানতে হতো। ১৬৪৭ সালের ম্যাসাচুসেটস জেনারেল স্কুল আইন বলেছিল, যদি কোনো অঞ্চলে ৫০টির বেশি পরিবার বসবাস করে, তবে একজন স্কুলশিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে। এই আইনের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছিল: "সেই পুরাতন প্রতারক, শয়তানের অন্যতম প্রধান কৌশল হলো মানুষকে বাইবেলের জ্ঞান থেকে দূরে রাখা, যেমন পূর্বকালে অজানা ভাষায় বাইবেল রেখে আর বর্তমানে ভাষা ব্যবহারে নিরুৎসাহিত করে; যাতে মূল বক্তব্য বিভিন্ন মিথ্যা ব্যাখ্যা ও সান্ত-সদৃশ প্রতারকদের দ্বারা বিকৃত হয়; এবং যেন শিক্ষা আমাদের পূর্বপুরুষদের কবরে চাপা না পড়ে, গির্জা ও রাষ্ট্রে তা টিকে থাকে, প্রভুর সহায়তায় আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।" এটি ছিল পিলগ্রিমদের নীতিমালা, যা তারা স্বৈরাচারীদের চাপিয়ে দেওয়া অজ্ঞতার বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠা করেছিল। ছেলে ও মেয়েরা প্রায়শই তাদের বাবা-মায়ের কাছেই বাইবেল পড়তে শিখত, সম্ভবত একটি "হর্নবুক" ব্যবহার করে — এক ধরণের বর্ণমালা ও শব্দতালিকা পাতা, যেটি শিং দিয়ে মোড়ানো থাকত।
শুধু বাইবেল পড়তে পারলেই চলবে না, একজন খ্রিস্টানকে অবশ্যই তার সমাজে শাসন করতে পারতে হবে। (''তার'' সমাজে: কারণ সরকার পরিচালনা ছিল ধার্মিক, সম্পত্তিধারী পুরুষদের অধিকার, নারীদের নয়।) এই উদ্দেশ্যে তরুণদের ক্লাসিক্যাল শিক্ষা — মূলত লাতিনভিত্তিক — অর্জন করতে হতো। ১৬৪৭ সালের আইন ছিল আমেরিকান গ্রামার স্কুলের সূচনা, যা শুরুতে লাতিন পড়াত, পরে এতে নেভিগেশন, প্রকৌশল, হিসাবরক্ষণ, ও বিদেশি ভাষার মতো ব্যবহারিক বিষয় যুক্ত হয়।<ref>A People and a Nation, Eighth Edition</ref> উপনিবেশিক যুগে খোলা বেশিরভাগ স্কুল ছিল ব্যক্তিমালিকানাধীন।<ref>http://www.excite.com/education/education/history-of-american-education</ref> তবে এর আগে ছিল প্রথম সরকার-সমর্থিত বিদ্যালয়, ১৬৩৫ সালে প্রতিষ্ঠিত বোস্টন লাতিন স্কুল। এর পাঠ্যক্রম ছিল কঠোর, ফলে ছাত্রসংখ্যা ছিল কম। হার্ভার্ড ছিল আমেরিকার প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়, ১৬৩৬ সালে প্রতিষ্ঠিত, মূলত প্রোটেস্টান্ট ধর্মযাজকদের প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্যে। ক্লাসিক্যাল পাঠ্যক্রম থেকে স্নাতকের সংখ্যা খুবই কম ছিল, ফলে উপস্থিতিও ছিল কম। কেউ কেউ সরাসরি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতো, কেউ ১৪ বা ১৫ বছর বয়সেই হার্ভার্ডে ঢুকত। কটন ম্যাথার ১৫ বছর বয়সে হার্ভার্ড থেকে স্নাতক হয়েছিলেন, যা ছিল তার অস্বাভাবিক প্রতিভার কারণে ব্যতিক্রম। ব্যক্তিগত স্কুলে ছেলে ও মেয়েরা হাতের লেখা, মৌলিক গণিত, ইংরেজি পড়া ও লেখা শিখত। এরপর তারা বিভিন্ন পেশায় শিক্ষানবিশ হিসেবে প্রবেশ করত। যারা গৃহপরিচারিকা হতো না, তারা গৃহস্থালি কাজের জন্য প্রশিক্ষিত হতো — সূচিশিল্প, রান্না, এবং কয়েকদিন ধরে কাপড় ধোয়ার মতো কাজ শেখানো হতো।
নিউ ইংল্যান্ডের মতো, মধ্য উপনিবেশগুলোতেও বেসরকারি স্কুল ছিল, যেখানে পড়া ও লেখা শেখানো হতো। তবে মৌলিক শিক্ষা সেখানে আরও দুর্লভ ছিল। পশ্চিমে যত দূরে কেউ বাস করত, স্কুলে যাওয়া কিংবা পড়তে ও লিখতে শেখার সম্ভাবনা ততই কম হতো। জাতিগত ও ধর্মীয় উপগোষ্ঠীগুলো নিজেদের শিশুদের জন্য নিজেদের নিয়মে বেসরকারি স্কুল চালাত। কোনো উপনিবেশেই উচ্চশিক্ষা নিশ্চিত ছিল না। মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলো বড় শহর — যেমন বোস্টন, নিউ ইয়র্ক, ফিলাডেলফিয়া ও চার্লসটন — ছাড়া খুবই বিরল ছিল।<ref>A People and a Nation Eighth Edition</ref>
চেসাপিক অঞ্চলের অভিজ্ঞতা ছিল একেবারেই ভিন্ন। শিশুদের পড়তে ও লিখতে পারার পূর্বশর্ত ছিল, তাদের বাবা-মাও যদি তা পারেন।<ref>A People and a Nation Eighth Edition</ref> দক্ষিণে বিপ্লবী যুগ পর্যন্ত খুব কম সংখ্যক স্কুল ছিল, যেকোনো ধরণেরই হোক না কেন। ধনী পরিবারের শিশুরা ব্যক্তিগত শিক্ষকের অধীনে পড়াশোনা করত। ধনী মেয়েরা 'নারীসুলভ শিল্পকলায়' শিক্ষিত হতো, তবে তাদের পাঠ্যক্রম ভাইদের মতো হতো না। মার্থা ওয়াশিংটনের নাতনি এলিজা কাস্টিস তার সৎপিতার বিদ্রূপের কথা বলেছিলেন, যখন তিনি বলেছিলেন "[আমার] দুঃখ লেগেছিল, তারা আমাকে গ্রিক ও লাতিন শেখাতে চায়নি, কারণ আমি মেয়ে — তারা হাসল এবং বলল, মেয়েদের এসব জানার দরকার নেই, সেলাই, লেখা, অঙ্ক এবং সংগীতই যথেষ্ট।"<ref>Edmund S. Morgan. Virginians At Home: Family Life in the Eighteenth Century. Charlottesville, VA: Dominion Books, 1962(1952). P. 17</ref> মধ্যবিত্ত শিশুরা বাবা-মায়ের কাছেই পড়া শিখত, আর গরিব শিশুদের অনেকেই, বিশেষ করে কৃষ্ণাঙ্গ শিশুরা, কোনো শিক্ষাই পেত না। দক্ষিণে স্বাক্ষরতার হার উত্তরাঞ্চলের তুলনায় কম ছিল, যা উনবিংশ শতাব্দী পর্যন্ত বজায় ছিল।<ref>A People and a Nation, Eighth Edition</ref>
[[File:Harvard Old College.jpg|thumb|১৬৩৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হার্ভার্ড যুক্তরাষ্ট্রের সর্বপ্রথম উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান।]]
১৬৯৩ সালে কলেজ অব উইলিয়াম অ্যান্ড ম্যারি প্রতিষ্ঠিত হয়, যা ছিল ভার্জিনিয়ার প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়। ১৮ শতক গড়িয়ে এলে এটি ধর্মতত্ত্বের বদলে আইনশাস্ত্রে বিশেষীকরণ শুরু করে।<ref>Morgan, p. 27.</ref> ১৭০১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ''Collegiate College''। ১৭১৮ সালে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির ওয়েলশ গভর্নর এলিহু ইয়েলের অনুদানে এর নাম হয় ইয়েল কলেজ। পরে আরও কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় গঠিত হয়, যার মধ্যে ১৭৪৭ সালের প্রিন্সটন অন্যতম। ১৮ শতকে কলেজের পাঠ্যক্রমে জ্যোতির্বিজ্ঞান, পদার্থবিজ্ঞান, আধুনিক ইতিহাস ও রাজনীতি বিষয়গুলো গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। কিছু কলেজ ১৮ শতকে নেটিভ আমেরিকান ছাত্রদের ভর্তি করার চেষ্টা করলেও আফ্রিকান-আমেরিকানদের ভর্তি করা হতো না।<ref>A People and a Nation, Eighth Edition</ref>
১৬৪০ সালে ''The whole Booke of Psalms Faithfully Translated into English Metre'', যা সাধারণভাবে বেই পসাল্ম বুক নামে পরিচিত, ক্যামব্রিজ, ম্যাসাচুসেটসে মুদ্রিত হয়। এটি ছিল নতুন পৃথিবীতে (নর্থ আমেরিকায়) লেখা প্রথম বই। এই বিখ্যাত ও প্রভাবশালী সঙ্গীতবইটির পর নিউ ইংল্যান্ডে একটি পূর্ণাঙ্গ প্রকাশনা শিল্প গড়ে ওঠে। ১৬৮৭ সালের কিছু পর ''New England Primer'' প্রকাশিত হয়, যা শিশুদের পড়া ও বানানের সহায়ক হিসেবে ব্যবহৃত হতো।
একটি বিকল্প শিক্ষাপদ্ধতি দেখা যায় বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিনের প্রতিষ্ঠিত আমেরিকান অ্যাকাডেমিতে, যা ১৭৫১ সালে ফিলাডেলফিয়ায় গঠিত হয়। এই প্রতিষ্ঠানটি আধুনিক আমেরিকান হাই স্কুলের কাছাকাছি একটি মডেল ছিল, যেখানে পেশাগত শিক্ষা দেওয়া হতো। এ ধরণের স্কুল পরে ক্লাসিক্যাল সেকেন্ডারি স্কুলের সংখ্যাকে ছাড়িয়ে যায়। তবে ফ্রাঙ্কলিনের অ্যাকাডেমিও ছিল ব্যক্তিমালিকানাধীন, ফলে এ শিক্ষালাভ সম্ভব ছিল কেবল অর্থবিত্তশালীদের জন্য।
এই সময়কালে উপনিবেশবাসীরা নেটিভ আমেরিকানদের খ্রিস্টধর্মে ধর্মান্তরিত করার চেষ্টা চালায়।<ref>http://www.encyclopedia.com/doc/1G2-2536600517.html</ref>
== পুনঃমূল্যায়ন প্রশ্নাবলী ==
১. নিচের উপনিবেশগুলোর মধ্যে একটি নির্বাচন করুন: নিউ ইয়র্ক, ভার্জিনিয়া, ম্যাসাচুসেটস, জর্জিয়া। এটি উপনিবেশের কোন তিনটি অঞ্চলের মধ্যে অবস্থিত? কেন এবং কীভাবে এটি শুরুতে উপনিবেশিকৃত হয়েছিল? এর অভিবাসী ও তাদের অনুসৃত ধর্ম কিভাবে ওই অঞ্চলের ওপর প্রভাব ফেলেছিল?
২. ব্রিটিশরা কেন উপনিবেশগুলোর সঙ্গে হস্তক্ষেপ করেছিল?
==উৎসসমূহ==
{{reflist}} {{chapnav|Exploration|Road to Revolution}} {{status|100%}} {{BookCat}}
gskmkudj6g45hluosqajhv4jfpo00m0
84819
84818
2025-06-18T09:38:30Z
Mehedi Abedin
7113
84819
wikitext
text/x-wiki
== উপনিবেশ স্থাপনের ধরণ ==
রেনেসাঁ যুগে গ্রেট ব্রিটেনের দ্বীপগুলোতে ব্যাপক পরিবর্তন আসে, যার ফলে ইংল্যান্ডের চার্চ প্রতিষ্ঠিত হয়, ব্রিটিশ গৃহযুদ্ধ সংঘটিত হয় এবং অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও আইনগত ব্যবস্থার সম্পূর্ণ রূপান্তর ঘটে। তবুও এই সময়কালে, অন্যান্য জাতি এবং আমেরিকার নিজস্ব আদিবাসীদের চাপ সত্ত্বেও, ইংরেজদের একটি বৈচিত্র্যময় উপনিবেশ গড়ে ওঠে এবং সফল হয়।
এই নতুন উপনিবেশগুলো তিনটি ভিন্ন উপায়ে অর্থায়িত হয়েছিল। একটি পদ্ধতিতে, '''কর্পোরেট উপনিবেশ''' যৌথ স্টক কোম্পানির মাধ্যমে স্থাপিত হতো। যৌথ স্টক কোম্পানি এমন একটি প্রকল্প যেখানে লোকেরা একটি নতুন উপনিবেশ গড়ে তুলতে শেয়ার কিনে বিনিয়োগ করত। উপনিবেশটির সফলতার ওপর ভিত্তি করে, প্রতিটি বিনিয়োগকারী তার ক্রয়কৃত শেয়ারের অনুপাতে লাভ পেত। এই বিনিয়োগ সম্পূর্ণভাবে নিজে উপনিবেশ শুরু করার চেয়ে কম ঝুঁকিপূর্ণ ছিল এবং প্রতিটি বিনিয়োগকারী উপনিবেশ পরিচালনায় প্রভাব ফেলতে পারত। তারা প্রায়ই নিজেদের জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করত। (অন্য মহাদেশে একটি যৌথ স্টক কোম্পানির উদাহরণ হলো ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি)। ভার্জিনিয়ায় এইভাবে বসতি স্থাপন করা হয়েছিল।
'''প্রোপ্রাইটারি উপনিবেশ''' ছিল কোনো ব্যক্তি বা পরিবারের মালিকানাধীন, যারা তাদের ইচ্ছামতো আইন প্রণয়ন ও কর্মকর্তাদের নিয়োগ করত। এই মালিকানার কারণেই উন্নয়ন সরাসরি সংঘটিত হতো। চার্লস দ্বিতীয় উইলিয়াম পেনকে বর্তমান পেনসিলভেনিয়া অঞ্চলটি প্রদান করেন। পেনের নতুন উপনিবেশ কোয়াকারদের আশ্রয় দেয়, যারা ছিল সহস্রাব্দবাদী প্রোটেস্ট্যান্টদের একটি দল হিসেবে ইংল্যান্ডের চার্চের বিরোধিতা করত। (কোয়াকারদের মন্ত্রী থাকত না এবং তারা ধর্মীয় বা নাগরিক বৈষম্যকে মানত না, যা তাদের শ্রেণিভিত্তিক সমাজে বিপজ্জনক উপাদান করে তুলেছিল)। পেন ছিলেন একজন স্পষ্টবাদী কোয়াকার এবং তিনি কোয়াকার বিশ্বাস রক্ষায় অনেক প্রচারপত্র লিখেছিলেন। তিনি অন্যান্য দেশ ও প্রোটেস্ট্যান্ট সংখ্যালঘুদের—এমনকি কিছু ক্যাথলিককেও—উপনিবেশে আসতে আমন্ত্রণ জানান।
সবশেষে, '''রাজকীয় উপনিবেশ''' ছিল রাজা কর্তৃক সরাসরি নিয়ন্ত্রিত এবং সেখানে রাজার নিযুক্ত রাজ্যপাল থাকত। তবে রেজাল্টিং সেটেলমেন্ট বা গঠিত উপনিবেশগুলো সবসময় ইংল্যান্ডের অনুরূপ ছিল না। উদাহরণস্বরূপ, অষ্টম হেনরির শাসনকালে ইংল্যান্ড ক্যাথলিক ধর্ম থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছিল এবং পুরাতন বিশ্বাসকে শুধু ধর্মীয় ভ্রান্তি নয়, বরং বিদেশি আধিপত্যের পূর্বাভাস হিসেবে দেখা হতো। তবুও, মেরিল্যান্ডে ক্যাথলিকদের প্রতি সহনশীলতা ব্রিটিশ মুকুটের পক্ষ থেকে একটি অনুগ্রহ হিসেবে দেওয়া হয়েছিল। ১৬৩৪ সালে লর্ড বাল্টিমোর ইংল্যান্ডের জর্জ ক্যালভার্টকে ভার্জিনিয়ার উত্তরে ও পেনসিলভেনিয়ার দক্ষিণে একটি সরু ভূমি অঞ্চলে একটি ক্যাথলিক উপনিবেশ স্থাপন করার জন্য নিয়োগ দেন রাজকীয় সনদের মাধ্যমে। পনেরো বছর পরে, ১৬৪৯ সালে, তিনি সহনশীলতা আইনে স্বাক্ষর করেন, যা উপনিবেশবাসীদের জন্য ধর্মীয় স্বাধীনতা ঘোষণা করে। মূল সনদ সত্ত্বেও পরে প্রোটেস্ট্যান্টরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ ধর্মে পরিণত হয়। লর্ড বাল্টিমোরের মৃত্যুর কয়েক বছর পর, মেরিল্যান্ডের একজন বিশিষ্ট জমিদারের স্ত্রী মার্গারেট ব্রেন্ট উপনিবেশের গভর্নর হিসেবে তার উইল কার্যকর করেন। তিনি উপনিবেশগুলোতে লিঙ্গভিত্তিক সামাজিক নিয়ম ভেঙে দেন, কারণ তিনি ছিলেন ইংরেজ উপনিবেশে প্রথম অ-রাজপরিবারভুক্ত নারী শাসক।
== ম্যাসাচুসেটস বে উপনিবেশ ==
''ম্যাসাচুসেটস বে উপনিবেশ'' আরেকটি কর্পোরেট উপনিবেশ, যা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ইংল্যান্ড থেকে দূরে এমন একটি জায়গা হিসেবে, যেখানে ধর্মীয় ভিন্নমতাবলম্বীরা বসবাস করতে পারতো। পিউরিটানরা ছিল কট্টর প্রোটেস্টান্টদের একটি দল, যারা বাইবেলের মূল ধর্মে ফিরে যাওয়ার দাবি করত। তারা ইংল্যান্ডের রাষ্ট্রীয় চার্চের বিরোধিতা করায় নির্যাতনের শিকার হয় এবং অনেকেই প্রাণ হারায়। ১৬২০ সালে, ৪১ জন পিউরিটান (যারা নিজেদের "তীর্থযাত্রী" বা পিলগ্রিমস বলত) নতুন পৃথিবীর উদ্দেশ্যে যাত্রা করে।
পিলগ্রিমদের সমসাময়িক বিবরণ অনুযায়ী, তাদের মূল পরিকল্পনা ছিল বর্তমানে নিউ ইয়র্কের লং আইল্যান্ডের নিকটে হাডসন নদীর অঞ্চলে উপনিবেশ স্থাপন। কেপ কড দর্শনের পর তারা দক্ষিণ দিকে হাডসন নদীর দিকে যেতে চাইলেও, বিপজ্জনক সমুদ্রের সম্মুখীন হয়ে প্রায় জাহাজডুবির শিকার হয়। ফলে তারা আরেকবার দক্ষিণে যাওয়ার ঝুঁকি না নিয়ে কেপ কডেই ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নেয়। কয়েক সপ্তাহ ধরে উপযুক্ত উপনিবেশ স্থাপনের স্থান খোঁজার পর, মেফ্লাওয়ার জাহাজের যাত্রীরা অবশেষে বর্তমান ম্যাসাচুসেটসে ১৬২০ সালের ২৬ ডিসেম্বর প্লাইমাউথ-এ নোঙর করে। তখনকার সেখানে বসবাসকারী একটি আদিবাসী গোত্রের নামানুসারে তারা এটি "ম্যাসাচুসেটস" নামে অভিহিত করে।
[[File:The Mayflower Compact 1620 cph.3g07155.jpg|thumb|মেফ্লাওয়ারের যাত্রীরা "মেফ্লাওয়ার কম্প্যাক্ট"-এ স্বাক্ষর করছে]]
জন কারভারের মৃত্যুর পর গভর্নর দ্বারা নির্বাচিত উইলিয়াম ব্র্যাডফোর্ড একটি জার্নাল লেখেন, যা উপনিবেশবাসীদের দুঃখ-কষ্ট, আদিবাসীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ এবং পরবর্তীতে উপনিবেশের সাফল্য বোঝার জন্য গুরুত্বপূর্ণ দলিল হিসেবে বিবেচিত। পিলগ্রিমরা নিজেদের শাসনের জন্য মেফ্লাওয়ার কম্প্যাক্ট নামক এক চুক্তির মাধ্যমে একমত হয়, যা মেফ্লাওয়ার জাহাজেই স্বাক্ষরিত হয়। দুই বছর পর, তারা কমপ্যাক্টের অধীনে শুরু করা যৌথ মালিকানাভিত্তিক ব্যবস্থাকে ত্যাগ করে এবং ১৬২৩ সালে প্রতিটি পরিবারকে স্বতন্ত্র জমি ভাগ করে দেয়।
দশ বছর পরে, যৌথ স্টকভিত্তিক ম্যাসাচুসেটস বে কোম্পানি ইংল্যান্ডের রাজা চার্লসের কাছ থেকে একটি সনদ লাভ করে। প্লাইমাউথ উপনিবেশ পরে ম্যাসাচুসেটস বে উপনিবেশের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায়, তবে ১৬৯১ সাল পর্যন্ত এটি আলাদা অবস্থায় ছিল।
পরবর্তীতে, আরও বড় একটি পিলগ্রিম দল নতুন ম্যাসাচুসেটস বে উপনিবেশে অভিবাসন করে। যদিও এটি ইংল্যান্ডের রাষ্ট্রীয় চার্চের অনুসারী ছিল, উপনিবেশটি ধর্মীয় স্বাধীনতা দেয়নি। শুধুমাত্র (পুরুষ) পিউরিটানদের ভোটাধিকার ছিল, সহনশীলতা আইনের মাধ্যমে উপনিবেশে পিউরিটান ধর্মকে সরকারি ধর্ম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা হয় এবং যারা তাদের গির্জায় যেত না, তাদের শাস্তি দেওয়া হতো।
== নিউ ইয়র্ক ==
অন্যান্য দেশসমূহও অনুসন্ধান তহবিল জোগাতে যৌথ-স্টক কোম্পানি ব্যবহার করেছিল। ১৬০৯ সালে ডাচ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি উত্তর আমেরিকার পূর্ব উপকূলে ৩৮ থেকে ৪৫ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ পর্যন্ত বিস্তৃত একটি ভূখণ্ড আবিষ্কার করে। এটি ছিল হালভ মিন ("হাফ মুন") নামক একটি ইয়টের অভিযান, যার নেতৃত্বে ছিলেন হেনরি হাডসন। আদ্রিয়ান ব্লক এবং হেনড্রিক ক্রিস্টিয়ানস্ ১৬১১ থেকে ১৬১৪ সাল পর্যন্ত ঐ অঞ্চলের অনুসন্ধান চালান। ১৬১৪ সালের মার্চ মাসে নেদারল্যান্ডসের শাসন সংস্থা রাজ্য জেনারেল নতুন পৃথিবীতে বাণিজ্যের জন্য একচেটিয়া পেটেন্ট ঘোষণা করে। রাজ্য জেনারেল নিউ নেদারল্যান্ড উন্নয়নের জন্য একটি ব্যক্তিগত বাণিজ্যিক উদ্যোগ হিসেবে পেটেন্ট ইস্যু করে। নদীপথের সুরক্ষা এবং আদিবাসীদের সাথে বাণিজ্যের জন্য বর্তমানে আলবানি এলাকায় দ্রুত ফোর্ট ন্যাসাও নির্মাণ করা হয়। ১৬২৪ সালে নিউ নেদারল্যান্ড ডাচ প্রজাতন্ত্রের একটি প্রদেশে পরিণত হয়। পরবর্তীতে ইংরেজরা কেপ কডের উত্তরে অনুপ্রবেশ করায় উত্তর সীমা ৪২ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশে নামিয়ে আনা হয়।
ল অফ নেশনস অনুযায়ী, কোনো অঞ্চলের দাবি প্রতিষ্ঠা করতে হলে শুধু আবিষ্কার ও মানচিত্র তৈরিই নয়, বসতি স্থাপনও প্রয়োজন ছিল। ১৬২৪ সালের মে মাসে ডাচরা ৩০টি পরিবারকে নটেন এইলান্তে (বর্তমান গভর্নরস আইল্যান্ড) অবতরণ করিয়ে তাদের দাবি পূর্ণতা দেয়।
পরবর্তী কয়েক দশকে অদক্ষ ডিরেক্টর-জেনারেলদের দ্বারা নিউ নেদারল্যান্ড পরিচালিত হয়। উপনিবেশবাসীরা আদিবাসীদের আক্রমণের শিকার হন এবং ব্রিটিশ ও ডাচ সংঘাত উপনিবেশ ধ্বংসের পথে ঠেলে দেয়। কিন্তু ১৬৪৭ সালে পিটার স্টাইভসান্ট ডিরেক্টর-জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর সবকিছু বদলে যায়। উপনিবেশে এসে তিনি বলেছিলেন, “আমি তোমাদেরকে এক পিতার মতো শাসন করব।” তিনি উপনিবেশের সীমানা সম্প্রসারণ করেন। ১৬৫৫ সালে তিনি উত্তর ইউরোপের একমাত্র বসতি নিউ সুইডেন জয় করেন। ১৬৫০ সালে নিউ ইংল্যান্ডের সাথে সীমানা বিরোধ নিষ্পত্তি করেন। তিনি আদিবাসীদের হামলার বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা উন্নত করেন, এবং ১৬৪০ সালে যেখানে জনসংখ্যা ছিল ৫০০, তা ১৬৬৪ সালের মধ্যে বেড়ে দাঁড়ায় ৯,০০০-এ। কিন্তু ১৬৬৪ সালের আগস্ট মাসে চারটি ইংরেজ যুদ্ধজাহাজ নিউ ইয়র্ক বন্দরে এসে উপনিবেশ আত্মসমর্পণের দাবি করে। প্রথমে স্টাইভসান্ট প্রতিরোধ করার শপথ করেন, কিন্তু পর্যাপ্ত গোলাবারুদ ও বারুদের অভাবে এবং উপনিবেশবাসীদের দুর্বল সমর্থনে তিনি আত্মসমর্পণে বাধ্য হন। নিউ নেদারল্যান্ড পরবর্তীতে ব্রিটিশ ইয়র্কের ডিউকের সম্মানে "নিউ ইয়র্ক" নামে পরিচিত হয়।
বাণিজ্যে প্রাধান্য অর্জনের উদ্দেশ্যে ইংরেজরা ১৬৬৪ সালে ডাচদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। তারা আমেরিকার আটলান্টিক উপকূলে ডাচ বন্দর নিউ অ্যামস্টারডাম দখল করে। রাজা দ্বিতীয় চার্লসের ভাই জেমস নিউ অ্যামস্টারডাম এবং এর আশেপাশের ডাচ অঞ্চলগুলোর সনদ লাভ করেন।
১৬৭৩ সালে ডাচরা মিচিয়েল ডি রুইটারের নেতৃত্বে সাময়িকভাবে আবার নিউ নেদারল্যান্ড পুনর্দখল করে, এবং এইবার এর নাম দেয় নিউ অরেঞ্জ। কিন্তু তৃতীয় ইঙ্গ-ডাচ যুদ্ধের শেষে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হলে তারা অঞ্চলটি আবার ইংরেজদের কাছে ফিরিয়ে দেয়।
== অন্যান্য প্রারম্ভিক উপনিবেশে উপনিবেশ স্থাপনের ধরণ ==
ক্যারোলিনা অঞ্চলের নামকরণ করা হয়েছিল ব্রিটিশ রাজা প্রথম চার্লসের নামানুসারে, এবং এটি একটি মালিকানাভিত্তিক উপনিবেশ হিসেবে আটজন অভিজাত ব্যক্তিকে প্রদান করা হয়। এই মালিকগণ ক্যারোলিনাকে দুটি পৃথক উপনিবেশে ভাগ করে দেন – ''উত্তর ক্যারোলিনা'' এবং ''দক্ষিণ ক্যারোলিনা''।
চারটি উপনিবেশ ইতিমধ্যেই বিদ্যমান বৃহত্তর ভূখণ্ড থেকে বিভাজনের মাধ্যমে গঠিত হয়েছিল। নিউ হল্যান্ড যখন দখল করে নিউ ইয়র্কে রূপান্তরিত করা হয়, তখন রাজা জেমস ভূখণ্ডের একটি অংশ, বর্তমান ''নিউ জার্সি'', লর্ড বার্কলি ও স্যার জর্জ কার্টারেটকে প্রদান করেন, এবং বর্তমান নিউ ইয়র্ক নিজের জন্য একটি মালিকানাভিত্তিক উপনিবেশ হিসেবে রাখেন। স্যার জর্জ এসেছিলেন জার্সি দ্বীপপুঞ্জ থেকে, এবং সেই অনুযায়ী নতুন উপনিবেশের নাম রাখা হয়। ভূখণ্ডের আরেকটি অংশ হয়ে ওঠে ক্রাউন নিয়ন্ত্রিত উপনিবেশ ''কানেকটিকাট''। এই উপনিবেশের নামকরণ করা হয় সেখানকার আদি ইন্ডিয়ান জনগোষ্ঠীর নামানুসারে। ১৭০৪ সালে পেনসিলভানিয়ার একটি কোণ বিচ্ছিন্ন হয়ে ''ডেলাওয়্যার'' উপনিবেশে পরিণত হয়, যেখানে কোয়াকাররা বসবাস করত না। এর নামকরণ করা হয় টমাস ওয়েস্ট, তৃতীয় ব্যারন ডি লা ওয়্যারের নামে, যিনি ছিলেন রানি এলিজাবেথের আমলের একজন অভিজাত এবং খ্যাতিমান অভিযাত্রী।
''রোড আইল্যান্ড'' ছিল ধর্মীয় ও রাজনৈতিক স্বাধীনতার একটি অনন্য পরীক্ষা। রজার উইলিয়ামস যখন প্রচার করতে থাকেন যে যিশু খ্রিস্ট চেয়েছিলেন যাতে গির্জা শাসনক্ষমতা থেকে পৃথক থাকে, তখন ম্যাসাচুসেটস তাকে নির্বাসিত করে। চার্চ অব ইংল্যান্ড এবং পরবর্তীতে পিউরিটানদের বিরোধিতা করা এই ব্যক্তি হন প্রথম আমেরিকান ব্যাপটিস্ট। অন্যান্য উপনিবেশে নানা অভিযানের পর তিনি নারাগানসেট ইন্ডিয়ানদের কাছ থেকে জমি কিনে একটি নতুন বসতি স্থাপন করেন। প্রভিডেন্স গঠিত হয়েছিল ধর্মীয় জটিলতা থেকে মুক্ত একটি উপনিবেশ এবং বিবেকবান মানুষের আশ্রয়স্থল হিসেবে। পরে তার অনুসরণে আসেন অ্যান হাচিনসন। তিনি বোস্টনের ধর্মীয় নেতাদের ক্ষুব্ধ করেছিলেন কারণ তিনি একজন নারী হয়েও প্রচার করতেন, এবং তিনি বিশ্বাস করতেন যে কার্যের সঙ্গে কৃপার সম্পর্ক সবসময় থাকে না, যা পিউরিটান মতবাদের বিরুদ্ধে। তিনিও ইন্ডিয়ানদের কাছ থেকে জমি কিনেছিলেন। সেখানে গঠিত হয় ''পোর্টসমাউথ'' নামের বসতি, এবং পরে একটি মতানৈক্যপূর্ণ সহোদর শহর ''নিউপোর্ট''। উপনিবেশটি আংশিকভাবে আকুইডনেক দ্বীপের উপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠে, যা পরবর্তীতে অজানা কারণে রোড আইল্যান্ড নামে পরিচিতি পায়, এবং পুরো উপনিবেশের নাম ওই স্থান থেকে নেওয়া হয়।
''জর্জিয়া'' ছিল আরেকটি মালিকানাভিত্তিক উপনিবেশ, যা রাজা প্রথম জর্জের নামানুসারে নামকরণ করা হয়। ১৭৩২ সালে জেমস ওগলথর্প ও অন্যান্যদের কাছে এর চার্টার প্রদান করা হয়। এটি অন্যান্য উপনিবেশকে ফ্লোরিডার স্প্যানিশ ও লুইজিয়ানার ফরাসিদের আক্রমণ থেকে রক্ষার জন্য একটি "বাফার" উপনিবেশ হিসেবে পরিকল্পিত ছিল। এই কারণে, জর্জিয়া ছিল একমাত্র উপনিবেশ যেটি প্রতিষ্ঠার সময় থেকেই ব্রিটিশ রাজশক্তির আর্থিক সহায়তা পেয়েছিল। তৎকালীন ব্রিটেনে ঋণগ্রস্ত মানুষদের কারাগারে পাঠানো হতো। এই ধরনের অনেক বন্দিকে অতিরিক্ত ভিড়যুক্ত জেল থেকে মুক্ত করে জর্জিয়া উপনিবেশে পাঠানো হয়। তখন আমেরিকাকে ইতিমধ্যে সমৃদ্ধির ভূমি হিসেবে দেখা হচ্ছিল, এবং ওগলথর্প আশা করেছিলেন এই প্রাক্তন বন্দিরা দ্রুত সৎ ও ধনী হয়ে উঠবে। কিন্তু লন্ডনের জেলখানার অধিকাংশ বন্দিই নতুন অজানা বন্য অঞ্চলে টিকে থাকার জ্ঞান রাখত না।
== ব্রিটিশ উপনিবেশগুলোর একটি চিত্র ==
উপনিবেশগুলোকে প্রায়শই তিনটি ভাগে বিবেচনা করা হয়: '''নিউ ইংল্যান্ড''' (নিউ হ্যাম্পশায়ার, ম্যাসাচুসেটস, রোড আইল্যান্ড, কানেকটিকাট), '''দক্ষিণ উপনিবেশসমূহ''' (মেরিল্যান্ড, ভার্জিনিয়া, ক্যারোলিনাসমূহ এবং জর্জিয়া), এবং '''মধ্য উপনিবেশসমূহ''' (নিউ ইয়র্ক, নিউ জার্সি, পেনসিলভানিয়া এবং ডেলাওয়্যার)। কখনও কখনও ক্যারোলিনাগুলো এবং জর্জিয়াকে চেসাপিক উপনিবেশ থেকে আলাদাভাবে গণ্য করা হয়।
প্রত্যেকটি গোষ্ঠীর ভৌগোলিক ও অর্থনৈতিক বৈশিষ্ট্য ছিল। নিউ ইংল্যান্ডের পাথুরে মাটি কেবল ছোট খামারের পক্ষে উপযুক্ত ছিল এবং কৃষিকাজের সুযোগ সীমিত ছিল। ফলে, এই অঞ্চলের লোকেরা অর্থ উপার্জনের জন্য মাছ ধরা, বনজ সম্পদ আহরণ, জাহাজ পরিবহন ও ক্ষুদ্র শিল্পের ওপর নির্ভর করত।<ref>{{cite book |last = Morison |first = Samuel Eliot |coauthors = |title = The Oxford History of the American People |publisher = Mentor |year = 1972 |location = New York City |pages =199–200 |url = |doi = |id = |isbn = 0451-62600-1 }}</ref>
দক্ষিণ উপনিবেশের উর্বর জমি ব্যক্তি মালিকদের দ্বারা দখল হয়, যারা বড় আকারের খামার তৈরি করে তামাক এবং পরবর্তীতে তুলা চাষ করত। ক্যারোলিনাদ্বয়ে চিনি, ধান ও নীল গাছও চাষ হতো। ১৭শ শতকে এসব ফসল খাটিয়ে নেওয়া হতো চুক্তিভিত্তিক শ্রমিকদের দ্বারা, যারা আমেরিকায় আসার জন্য ভাড়ার বিনিময়ে নির্দিষ্ট বছর কাজ করত এবং পরবর্তীতে জমির অধিকার পেত। এদের অনেকেই চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই মারা যেত। ১৬৭৬ সালে চুক্তিভিত্তিক শ্রমিকদের একটি দল বেকনের বিদ্রোহে অংশগ্রহণ করে। এই বিদ্রোহের পর বৃহৎ খামারগুলো আফ্রিকান ক্রীতদাসদের কাজে লাগাতে শুরু করে। যদিও অনেক চুক্তিভুক্ত শ্বেতাঙ্গ পরবর্তীতে মুক্ত হয়, তারা সামাজিকভাবে নিম্নবর্গেই থেকে যায়, যদিও তারা ক্রমাগত কঠোরতর দাসবিধির আওতায় পড়ত না—এই দাসবিধিগুলো দক্ষিণ উপনিবেশে দাসদের প্রায় সব স্বাধীনতা অস্বীকার করত। মার্কিন বিপ্লবের সময়, প্রতি পাঁচজন উপনিবেশবাসীর মধ্যে একজন ছিলেন আফ্রিকান দাস। আর দক্ষিণে দাসশ্রমে উৎপন্ন পণ্যই ছিল মধ্য উপনিবেশ ও নিউ ইংল্যান্ডের শহরগুলোর ভোগ ও বাণিজ্যের প্রধান উপকরণ। খুব কম লোকই দাসভিত্তিক অর্থনীতিকে প্রশ্ন করত।
মধ্য উপনিবেশে ছিল মাঝারি আকারের খামার। এসব উপনিবেশে ছিল বিভিন্ন সংস্কৃতি ও বিশ্বাসের মানুষ। এই রাজ্যগুলোতেও চুক্তিভিত্তিক শ্রমিক এবং পরে দাস ব্যবহার করা হতো, কিন্তু দক্ষিণ উপনিবেশের মতো বিশালসংখ্যক দাসশ্রমের ব্যবহার সেখানে দেখা যেত না।
আরেকটি পার্থক্য ছিল ধর্মীয় চর্চায়। নিউ ইংল্যান্ড ছিল মূলত কনগ্রিগেশনালিস্ট, কিছুটা প্রেসবিটারিয়ান এবং নিজেকে ব্যাপটিস্ট দাবি করা ধর্মীয় অসামঞ্জস্যবাদীদের উপস্থিতি ছিল। তারা সবাই ছিলেন ব্রিটিশ গৃহযুদ্ধের পূর্ব ও সময়কার ধর্মীয় ভিন্নমতাবলম্বীদের উত্তরসূরি। দক্ষিণে প্রধানত অ্যাংলিকানরা ছিল, যারা ধর্মীয় ও ধর্মবহির্ভূত ঐতিহ্য ও ছুটির দিনগুলোকে মূল্য দিত। মধ্য উপনিবেশে ছিল হল্যান্ড, জার্মান ভূখণ্ড ও এমনকি বোহেমিয়ার ছোট ছোট জনগোষ্ঠী, যারা নিয়ে এসেছিল ক্যাথলিক ও প্রোটেস্টান্ট বিশ্বাসের বৈচিত্র্য।
যেসব শ্বেতাঙ্গকে ইংরেজ কর্তৃপক্ষ আমেরিকায় পাঠিয়েছিল, তাদের মধ্যে অনেক স্কটস-আইরিশ ছিল, যারা আলস্টার থেকে আগত। এরা ছিল ক্যালভিনবাদী প্রোটেস্টান্ট, যাদের অবস্থান ছিল আইরিশ ক্যাথলিক সংখ্যাগোষ্ঠীর মধ্যে এবং তারা উভয় পক্ষ ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধেই অবস্থান করত। এই সংখ্যালঘু দল অ্যাপালাচিয়ান পর্বতমালা এবং পরে ওহাইও ও মিসিসিপি অঞ্চলের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে বসতি স্থাপন করেছিল। আমেরিকায় তারা ভূমি ও স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষায় সামান্য খরচে উপনিবেশের সীমান্তকে পশ্চিম দিকে প্রসারিত করেছিল, এবং পূর্বাঞ্চলের বসতিগুলো ও স্থানচ্যুত আদিবাসী গোষ্ঠীর মধ্যে একপ্রকার সশস্ত্র সীমানা রক্ষা করেছিল। উপনিবেশিক সীমান্তবাসীদের জীবন ছিল অত্যন্ত কষ্টকর—তারা নিজের হাতে ঘন বনাঞ্চলে শহর ও খামার গড়ে তুলত, দারিদ্র্য ও আদিবাসী আক্রমণের মুখোমুখি হয়ে।
প্রত্যেকটি উপনিবেশ স্থানীয় ধর্মবিশ্বাস ও সামর্থ্য অনুযায়ী শিক্ষাদান ও বিনোদনের নিজস্ব ক্ষেত্র গড়ে তোলে। দক্ষিণাঞ্চলের সংস্কৃতিতে সংগীতনাট্যে আগ্রহ দেখা যায়, যার কেন্দ্র ছিল চার্লসটন, সাউথ ক্যারোলিনা এবং উইলিয়ামসবার্গ, ভার্জিনিয়া। ১৭৫০ সালে নিউ ইয়র্ক সিটিতে শেক্সপিয়ারের "রিচার্ড থার্ড" নাটকের একটি পেশাদার পরিবেশনা হয়, যা ছিল আমেরিকায় শেক্সপিয়ারের প্রথম পেশাদার নাট্য পরিবেশনা। প্রচারক, বক্তা ও গায়করা উপনিবেশবাসীদের বিনোদন দিতেন।
তাদের মধ্যে পার্থক্যের চেয়ে মিলই ছিল বেশি। তিনটি অঞ্চলেই জনসংখ্যা প্রধানত ব্রিটিশ দ্বীপপুঞ্জ থেকে আগত। প্রত্যেকটির সড়কব্যবস্থা ছিল অত্যন্ত খারাপ, এবং আটলান্টিক মহাসাগরের মাধ্যমে তারা পরিবহণের সংযোগ রাখত। এরা সবাই আটলান্টিক অর্থনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিল। আটলান্টিক অঞ্চলের বণিকেরা জাহাজে করে আমেরিকা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ইউরোপ এবং আফ্রিকার মধ্যে দাস, তামাক, রাম, চিনি, সোনা, রূপা, মসলা, মাছ, কাঠ এবং প্রস্তুত পণ্য আদান-প্রদান করত।<ref>{{cite book|title=Cod: A Biography of the Fish That Changed the World|last=Kurlansky|first=Mark|publisher=New York: Walker|isbn=0-8027-1326-2}}</ref> নিউ ইয়র্ক, ফিলাডেলফিয়া, বোস্টন ও চার্লসটন ছিল সে সময়ের বৃহত্তম শহর এবং প্রধান বন্দর।<ref>{{cite web| url= http://www.census.gov/population/www/documentation/twps0027/tab02.txt| title= Earliest Population Figures for American Cities | author= U.S. Census Bureau|accessdate=2010-08-29}}</ref>
== প্রাথমিক প্রযুক্তি ==
প্রথম দফার উপনিবেশকারীরা খেটে খাওয়া শ্রমের মাধ্যমে তাদের খামার চাষ করতেন এবং কুমারশিল্প ও চামড়া ট্যানিংয়ের মতো ভূমিভিত্তিক হস্তশিল্প গড়ে তুলেছিলেন। পরবর্তী সময়ে জাহাজে করে গরু ও ঘোড়া আনা হলে খসড়া প্রাণী অর্থনীতির অংশ হয়ে ওঠে। চুক্তিভিত্তিক শ্রমিক এবং পরে আফ্রিকা থেকে অপহৃত দাসদের আমদানি করা হয়। তখনই বৃহৎ আকারের কারখানা স্থাপিত হতে শুরু করে। অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষভাগে ছোট পরিসরে যন্ত্রনির্ভর উৎপাদনশিল্প দেখা দেয়। লোকজন কয়লা ও লৌহ আকরিক খনন শুরু করে। নিউ ইংল্যান্ড ওই আকরিক ব্যবহার করে নির্মাণ সরঞ্জাম ও ঘোড়ার নাল তৈরি করতে শুরু করে। দক্ষিণের তুলার ওপর নির্ভরশীল একটি নতুন বস্ত্রশিল্প গড়ে ওঠে। কাঠ বা কয়লা দ্বারা চালিত এবং শক্তিশালী ধাতুর চাহিদায় পরিচালিত গৃহস্থালির ধাতুকর্মে লোহা গলানোর নতুন কৌশল উদ্ভাবিত হয়। লোহার কাজ করা কারিগর ও টিনশিল্পীরা বড় বসতিগুলোর অংশ হয়ে ওঠে। উপনিবেশগুলো যান্ত্রিক ঘড়ি, আগ্নেয়াস্ত্র এবং ছাপাখানার জন্য সীসা টাইপ তৈরি করতে শুরু করে।
<gallery mode="packed" heights="150px">
File:The Francis Skerry Beaker, Jeremiah Dummer, American, c. 1670, silver - Fogg Art Museum, Harvard University - DSC01384.jpg|১৬৭০ সালের কাছাকাছি সময়ে আমেরিকায় জন্মগ্রহণকারী প্রথম রূপকার [[w:Jeremiah Dummer (silversmith)|জেরেমায়া ডামার]] নির্মিত একটি রূপার বীকার।
File:First Slave Auction 1655 Howard Pyle.jpg|১৬৫৫ সালে নিউ আমস্টারডামে অনুষ্ঠিত প্রথম দাস নিলামের চিত্র। (১৮৯৫ সালের চিত্রাঙ্কন)
File:WestFrontMansionMountVernon.jpg|মাউন্ট ভারন প্ল্যান্টেশন, নির্মিত ১৭৫৮ সালে। যখন জর্জ ওয়াশিংটন ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেন, তখনও তিনি তার নিজের দাসদের ধরে রেখেছিলেন, যারা নিজেরাও স্বাধীনতার অভাবে অসন্তুষ্ট ছিলেন।<ref>{{cite web |title=Resistance and Punishment |url=https://www.mountvernon.org/george-washington/slavery/resistance-and-punishment/ |website=George Washington's Mount Vernon |accessdate=19 September 2020 |language=en}}</ref>
File:Parkman Tavern, Concord MA.jpg|[[w:Parkman Tavern|পার্কম্যান ট্যাভার্ন]], ম্যাসাচুসেটসের কনকর্ডের ১৬৫৯ সালে নির্মিত।
</gallery>
== বাণিজ্যনৈতিক মতবাদ, সহনশীল অবহেলা ও ব্রিটিশ হস্তক্ষেপ ==
আমেরিকান উপনিবেশগুলো, যারা সমুদ্র দিয়ে বিচ্ছিন্ন একেবারে নতুন সমাজ ছিল, বিশ্বাস করত যে তাদের নিজেদের শাসনের অধিকার রয়েছে। এই বিশ্বাসকে উৎসাহিত করেছিল ব্রিটেনের গৌরবময় বিপ্লব এবং ১৬৮৯ সালের অধিকার বিল, যা পার্লামেন্টকে সর্বোচ্চ শাসনক্ষমতা দেয়। '''সহনশীল অবহেলার''' নামে পরিচিত অপেক্ষাকৃত শিথিল নিয়ন্ত্রণের এই নীতির অবসান ঘটে ব্রিটিশ নিয়ন্ত্রণ বৃদ্ধি পাওয়ার মাধ্যমে, যা বাণিজ্যনৈতিক মতবাদের প্রভাবে এবং লর্ডস অফ ট্রেড ও পরবর্তী ন্যাভিগেশন আইনগুলোর মাধ্যমে প্রতিফলিত হয়।
=== বাণিজ্যনৈতিক মতবাদ ===
পার্লামেন্ট, '''বাণিজ্যনৈতিক মতবাদ''' নামক অর্থনৈতিক নীতির অনুসরণে, উপনিবেশগুলোর বাণিজ্যের ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করে। এই মতবাদের মূল ধারণা ছিল—একটি জাতির অর্থনৈতিক শক্তি নির্ভর করে তার রপ্তানি পণ্যের মূল্যের ওপর। একটি দেশ তার উপনিবেশগুলোর মাধ্যমে কাঁচামালের পরিবর্তে প্রস্তুত পণ্য উৎপাদন করতে পারে। এই পণ্যগুলো অন্যান্য দেশের সঙ্গে বিনিময় করে উপনিবেশকারী দেশের শক্তি বাড়ানো সম্ভব। এই নীতির প্রবর্তক ছিলেন ফরাসি অর্থনীতিবিদ জঁ-বাতিস্ত কোলবে। এটি ব্রিটেনের জন্য অত্যন্ত উপযোগী মনে করা হয়। স্পেনের অর্থনৈতিক ভিত্তি ছিল আমেরিকান সোনা, আর ফ্রান্সের ছিল আমেরিকান পশম। ইংল্যান্ডের কাছে সোনা বা পশম ছিল না, তবে তাদের ছিল আমেরিকান তুলা, মলাসেস (আখের গুড়), তামাক, এবং উন্নত মানের জাহাজ। ১৭০০ শতকের মধ্যভাগ পর্যন্ত উপনিবেশগুলো “সহনশীল অবহেলা”-এর দীর্ঘ সময় উপভোগ করেছিল, যেখানে ব্রিটিশরা প্রায়ই উপনিবেশগুলিকে নিজেদের মতো করে পরিচালনা করতে দিত। এখন সেই সময় শেষ হয়।
=== লর্ডস অফ ট্রেড ===
বাণিজ্যনৈতিক নীতিগুলো কার্যকর করার প্রয়াসে রাজা দ্বিতীয় চার্লস প্রিভি কাউন্সিলের একটি নতুন কমিটি হিসেবে '''লর্ডস অফ ট্রেড''' গঠন করেন। এই লর্ডরা উপনিবেশগুলোর শাসন ইংরেজদের পক্ষে উপযোগী করার চেষ্টা করেন, উপনিবেশবাসীদের পক্ষে নয়।
লর্ডস অফ ট্রেড চেয়েছিল সমস্ত আমেরিকান উপনিবেশকে রাজকীয় উপনিবেশে রূপান্তর করতে, যাতে মুকুটের শক্তি বাড়ানো যায়। রাজা দ্বিতীয় জেমস-এর শাসনকালে (দ্বিতীয় চার্লসের উত্তরসূরি), নিউ ইয়র্ক, নিউ জার্সি এবং পুরিটান উপনিবেশগুলোকে একত্র করে ১৬৮৭ সালে “ডমিনিয়ন অব নিউ ইংল্যান্ড” গঠন করা হয়।
তবে এই ডমিনিয়ন অল্পদিন টিকে ছিল। দ্বিতীয় জেমস ছিলেন ক্যাথলিক, আর ব্রিটিশ প্রোটেস্টান্টরা তাকে হুমকি মনে করত। গৌরবময় বিপ্লবে (১৬৮৮) তাকে সিংহাসনচ্যুত করা হয় (পার্লামেন্ট তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে সিংহাসন ত্যাগ করানো হয়েছে বলে ধরে নেয়)। ১৬৮৯ সালে জেমসের কন্যা মেরি দ্বিতীয় ও তার স্বামী উইলিয়াম তৃতীয় যুগ্মভাবে সিংহাসনে বসেন। তবে প্রকৃত ক্ষমতা ছিল ব্রিটিশ পার্লামেন্টের হাতে। ডমিনিয়ন অব নিউ ইংল্যান্ড বিলুপ্ত হয়, পৃথক উপনিবেশগুলো পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয় এবং লর্ডস অফ ট্রেড বিলুপ্ত হয় (এর পরিবর্তে কেবল উপদেষ্টা ভিত্তিক একটি বোর্ড অফ ট্রেড গঠিত হয়)।
=== ন্যাভিগেশন আইনসমূহ ===
১৬৬০ সাল থেকে ইংল্যান্ডের পার্লামেন্ট '''ন্যাভিগেশন আইনসমূহ''' প্রণয়ন করতে থাকে, যাতে তারা তাদের উপনিবেশ থেকে বেশি লাভ তুলতে পারে। এসব আইনের অধীনে নির্ধারিত হয় যে যেকোনো উপনিবেশিক আমদানি-রপ্তানি কেবলমাত্র ইংল্যান্ডে নিবন্ধিত জাহাজে পরিবাহিত হতে পারবে—মানে শুধুমাত্র ইংল্যান্ডই শিপিং-এর ক্ষমতা ও এর থেকে আসা মুনাফা ভোগ করবে। তামাক ও চিনি রপ্তানি শুধুমাত্র ইংল্যান্ডে করা যাবে, অন্য কোনো দেশে নয়। (তখন তামাক ও চিনি দুটোই ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হতো—চিনির দ্বারা অ্যালকোহল তৈরি করা হতো যা ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হতো)। এবং উপনিবেশগুলো কোনো বিদেশি নির্মিত পণ্য আমদানি করতে পারত না, যদি না সেগুলো প্রথমে ইংল্যান্ডে নিয়ে যাওয়া হতো, সেখানে শুল্ক পরিশোধ করা হতো, তারপর সেগুলো উপনিবেশে পাঠানো হতো।
১৭৩০-এর দশকে, সুগার অ্যাক্ট অনুযায়ী উপনিবেশগুলোতে আমদানি হওয়া প্রতি গ্যালন চিনি বা মলাসেসের ওপর ছয় পেন্স কর আরোপ করা হয়। ১৭৫০ সালের মধ্যে পার্লামেন্ট আরও অনেক পণ্যের ওপর নিষেধাজ্ঞা, নিয়ন্ত্রণ বা কর আরোপ করতে শুরু করে। তারা উপনিবেশে সমস্ত ধরনের উৎপাদন ঠেকাতে চায়। এই নীতিগুলো উপনিবেশবাসীদের মধ্যে প্রবল ক্ষোভ সৃষ্টি করে, যদিও ইউরোপের অন্যান্য রাজতন্ত্রের প্রজাদের তুলনায় তাদের করভার তুলনামূলকভাবে কম ছিল।
উপনিবেশবাসীরা ন্যাভিগেশন আইনগুলোকে ঘৃণা করত, কারণ তারা বিশ্বাস করত যে নিজেরা বাণিজ্য করতে পারলে আরও সমৃদ্ধ ও ধনী হতে পারত। তারা আরও বিশ্বাস করত যে কিছু গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ ইংল্যান্ডে পাওয়া যায় না।
== ১৭০০-এর দশকে আদিবাসীরা ==
গ্রেট প্লেইন্স-এর আদিবাসীরা:
আজকের দিনে, যেই অঞ্চল জুড়ে গ্রেট প্লেইন্স-এর সমস্ত আদিবাসীরা বাস করতেন, তা রকি পর্বতমালা থেকে মিসিসিপি নদী পর্যন্ত বিস্তৃত। ১৭০০-এর দশকে, প্রায় ৩০টি গোত্র এই গ্রেট প্লেইন্স অঞ্চলে বসবাস করত। এই গোত্রগুলো মূলত খাদ্য এবং দৈনন্দিন অন্যান্য প্রয়োজনীয়তার জন্য মহিষের ওপর নির্ভর করত। আদিবাসীরা—বিশেষ করে নারীরা—তাদের পোশাক মহিষের চামড়া দিয়ে তৈরি করতেন, তবে তারা হরিণের চামড়াও ব্যবহার করতেন। নারীরা মৃত হরিণ বা মহিষের চামড়া জলে ভিজিয়ে রাখতেন এবং এরপর তার লোম চেঁছে ফেলতেন।<ref name="englar">Englar, Mary. The Great Plains Indians: Daily Life in the 1700s. Mankato, MN: Capstone, 2006. Print.</ref>
তদ্ব্যতীত, আদিবাসী গোত্রগুলো একে অপরের সঙ্গে বাণিজ্য করত। একজন ব্যক্তির কাছে যত বেশি ঘোড়া থাকত, তাকে তত বেশি ধনী বলে মনে করা হতো; আদিবাসীরা তাদের ঘোড়ার বিনিময়ে খাদ্য, যন্ত্রপাতি, অস্ত্র (যেমন বন্দুক), এবং পশুচর্ম বিনিময় করত। যেহেতু বিভিন্ন গোত্রের ভাষা একে অপরের থেকে ভিন্ন ছিল, তাই তারা পারস্পরিক বাণিজ্যের সময় সাঙ্কেতিক ভাষা ব্যবহার করত।<ref name="englar" />
== ফিলাডেলফিয়া নির্বাচনী দাঙ্গা ==
১৭৪২ সালে নির্বাচনের দিনে ফিলাডেলফিয়ায় একটি দাঙ্গা শুরু হয়, যার কারণ ছিল অ্যাঙ্গলিকান জনগণের কোয়াকার সংখ্যাগোষ্ঠীর সঙ্গে মতবিরোধ। এই দাঙ্গার মূল কারণ ছিল অ্যাঙ্গলিকান ও কোয়াকার জনগণের মধ্যে ক্ষমতার দ্বন্দ্ব। কোয়াকাররা ফিলাডেলফিয়ায় দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক আধিপত্য বজায় রেখেছিল। জার্মান জনগণ কোয়াকারদের ভোটকে সমর্থন করেছিল, কারণ কোয়াকার অহিংস নীতির ফলে কর বাড়ার সম্ভাবনা এবং শেষ পর্যন্ত বাধ্যতামূলক সৈন্যভর্তির আশঙ্কা কমে যেত। নির্বাচনের দিনে অ্যাঙ্গলিকান ও নাবিকেরা কোয়াকার এবং জার্মানদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। কোয়াকাররা কোর্টহাউসে আশ্রয় নিতে সক্ষম হয় এবং নির্বাচন সম্পন্ন করে। অ্যাঙ্গলিকান দল নির্বাচনে পরাজিত হয় এবং দাঙ্গার পর ৫৪ জন নাবিককে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়।
== শিক্ষা ==
১৭০০-এর দশকে উপনিবেশগুলোর তিনটি অঞ্চল ভিন্ন ভিন্ন আগ্রহসম্পন্ন জনগোষ্ঠী নিয়ে গঠিত ছিল, ফলে তারা তাদের শিশুদের জন্য ভিন্নধর্মী শিক্ষা প্রদান করত। যদিও কিছু সাধারণ বৈশিষ্ট্য ছিল — তিন অঞ্চলের যে কোনো ধনী পরিবার তাদের পুত্রকে ইউরোপে পড়তে পাঠাতে পারত — তবুও বিভিন্ন উপনিবেশে শিক্ষাদানের ধরণে পার্থক্য দেখা যেত।
নিউ ইংল্যান্ডে শিক্ষার উদ্দেশ্য ছিল সামাজিক ও ধর্মীয় উভয়ই। একজন সুশীল নাগরিককে অবশ্যই বাইবেল জানতে হতো। ১৬৪৭ সালের ম্যাসাচুসেটস জেনারেল স্কুল আইন বলেছিল, যদি কোনো অঞ্চলে ৫০টির বেশি পরিবার বসবাস করে, তবে একজন স্কুলশিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে। এই আইনের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছিল: "সেই পুরাতন প্রতারক, শয়তানের অন্যতম প্রধান কৌশল হলো মানুষকে বাইবেলের জ্ঞান থেকে দূরে রাখা, যেমন পূর্বকালে অজানা ভাষায় বাইবেল রেখে আর বর্তমানে ভাষা ব্যবহারে নিরুৎসাহিত করে; যাতে মূল বক্তব্য বিভিন্ন মিথ্যা ব্যাখ্যা ও সান্ত-সদৃশ প্রতারকদের দ্বারা বিকৃত হয়; এবং যেন শিক্ষা আমাদের পূর্বপুরুষদের কবরে চাপা না পড়ে, গির্জা ও রাষ্ট্রে তা টিকে থাকে, প্রভুর সহায়তায় আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।" এটি ছিল পিলগ্রিমদের নীতিমালা, যা তারা স্বৈরাচারীদের চাপিয়ে দেওয়া অজ্ঞতার বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠা করেছিল। ছেলে ও মেয়েরা প্রায়শই তাদের বাবা-মায়ের কাছেই বাইবেল পড়তে শিখত, সম্ভবত একটি "হর্নবুক" ব্যবহার করে — এক ধরণের বর্ণমালা ও শব্দতালিকা পাতা, যেটি শিং দিয়ে মোড়ানো থাকত।
শুধু বাইবেল পড়তে পারলেই চলবে না, একজন খ্রিস্টানকে অবশ্যই তার সমাজে শাসন করতে পারতে হবে। (''তার'' সমাজে: কারণ সরকার পরিচালনা ছিল ধার্মিক, সম্পত্তিধারী পুরুষদের অধিকার, নারীদের নয়।) এই উদ্দেশ্যে তরুণদের ক্লাসিক্যাল শিক্ষা — মূলত লাতিনভিত্তিক — অর্জন করতে হতো। ১৬৪৭ সালের আইন ছিল আমেরিকান গ্রামার স্কুলের সূচনা, যা শুরুতে লাতিন পড়াত, পরে এতে নেভিগেশন, প্রকৌশল, হিসাবরক্ষণ, ও বিদেশি ভাষার মতো ব্যবহারিক বিষয় যুক্ত হয়।<ref>A People and a Nation, Eighth Edition</ref> উপনিবেশিক যুগে খোলা বেশিরভাগ স্কুল ছিল ব্যক্তিমালিকানাধীন।<ref>http://www.excite.com/education/education/history-of-american-education</ref> তবে এর আগে ছিল প্রথম সরকার-সমর্থিত বিদ্যালয়, ১৬৩৫ সালে প্রতিষ্ঠিত বোস্টন লাতিন স্কুল। এর পাঠ্যক্রম ছিল কঠোর, ফলে ছাত্রসংখ্যা ছিল কম। হার্ভার্ড ছিল আমেরিকার প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়, ১৬৩৬ সালে প্রতিষ্ঠিত, মূলত প্রোটেস্টান্ট ধর্মযাজকদের প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্যে। ক্লাসিক্যাল পাঠ্যক্রম থেকে স্নাতকের সংখ্যা খুবই কম ছিল, ফলে উপস্থিতিও ছিল কম। কেউ কেউ সরাসরি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতো, কেউ ১৪ বা ১৫ বছর বয়সেই হার্ভার্ডে ঢুকত। কটন ম্যাথার ১৫ বছর বয়সে হার্ভার্ড থেকে স্নাতক হয়েছিলেন, যা ছিল তার অস্বাভাবিক প্রতিভার কারণে ব্যতিক্রম। ব্যক্তিগত স্কুলে ছেলে ও মেয়েরা হাতের লেখা, মৌলিক গণিত, ইংরেজি পড়া ও লেখা শিখত। এরপর তারা বিভিন্ন পেশায় শিক্ষানবিশ হিসেবে প্রবেশ করত। যারা গৃহপরিচারিকা হতো না, তারা গৃহস্থালি কাজের জন্য প্রশিক্ষিত হতো — সূচিশিল্প, রান্না, এবং কয়েকদিন ধরে কাপড় ধোয়ার মতো কাজ শেখানো হতো।
নিউ ইংল্যান্ডের মতো, মধ্য উপনিবেশগুলোতেও বেসরকারি স্কুল ছিল, যেখানে পড়া ও লেখা শেখানো হতো। তবে মৌলিক শিক্ষা সেখানে আরও দুর্লভ ছিল। পশ্চিমে যত দূরে কেউ বাস করত, স্কুলে যাওয়া কিংবা পড়তে ও লিখতে শেখার সম্ভাবনা ততই কম হতো। জাতিগত ও ধর্মীয় উপগোষ্ঠীগুলো নিজেদের শিশুদের জন্য নিজেদের নিয়মে বেসরকারি স্কুল চালাত। কোনো উপনিবেশেই উচ্চশিক্ষা নিশ্চিত ছিল না। মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলো বড় শহর — যেমন বোস্টন, নিউ ইয়র্ক, ফিলাডেলফিয়া ও চার্লসটন — ছাড়া খুবই বিরল ছিল।<ref>A People and a Nation Eighth Edition</ref>
চেসাপিক অঞ্চলের অভিজ্ঞতা ছিল একেবারেই ভিন্ন। শিশুদের পড়তে ও লিখতে পারার পূর্বশর্ত ছিল, তাদের বাবা-মাও যদি তা পারেন।<ref>A People and a Nation Eighth Edition</ref> দক্ষিণে বিপ্লবী যুগ পর্যন্ত খুব কম সংখ্যক স্কুল ছিল, যেকোনো ধরণেরই হোক না কেন। ধনী পরিবারের শিশুরা ব্যক্তিগত শিক্ষকের অধীনে পড়াশোনা করত। ধনী মেয়েরা 'নারীসুলভ শিল্পকলায়' শিক্ষিত হতো, তবে তাদের পাঠ্যক্রম ভাইদের মতো হতো না। মার্থা ওয়াশিংটনের নাতনি এলিজা কাস্টিস তার সৎপিতার বিদ্রূপের কথা বলেছিলেন, যখন তিনি বলেছিলেন "[আমার] দুঃখ লেগেছিল, তারা আমাকে গ্রিক ও লাতিন শেখাতে চায়নি, কারণ আমি মেয়ে — তারা হাসল এবং বলল, মেয়েদের এসব জানার দরকার নেই, সেলাই, লেখা, অঙ্ক এবং সংগীতই যথেষ্ট।"<ref>Edmund S. Morgan. Virginians At Home: Family Life in the Eighteenth Century. Charlottesville, VA: Dominion Books, 1962(1952). P. 17</ref> মধ্যবিত্ত শিশুরা বাবা-মায়ের কাছেই পড়া শিখত, আর গরিব শিশুদের অনেকেই, বিশেষ করে কৃষ্ণাঙ্গ শিশুরা, কোনো শিক্ষাই পেত না। দক্ষিণে স্বাক্ষরতার হার উত্তরাঞ্চলের তুলনায় কম ছিল, যা উনবিংশ শতাব্দী পর্যন্ত বজায় ছিল।<ref>A People and a Nation, Eighth Edition</ref>
[[File:Harvard Old College.jpg|thumb|১৬৩৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হার্ভার্ড যুক্তরাষ্ট্রের সর্বপ্রথম উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান।]]
১৬৯৩ সালে কলেজ অব উইলিয়াম অ্যান্ড ম্যারি প্রতিষ্ঠিত হয়, যা ছিল ভার্জিনিয়ার প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়। ১৮ শতক গড়িয়ে এলে এটি ধর্মতত্ত্বের বদলে আইনশাস্ত্রে বিশেষীকরণ শুরু করে।<ref>Morgan, p. 27.</ref> ১৭০১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ''Collegiate College''। ১৭১৮ সালে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির ওয়েলশ গভর্নর এলিহু ইয়েলের অনুদানে এর নাম হয় ইয়েল কলেজ। পরে আরও কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় গঠিত হয়, যার মধ্যে ১৭৪৭ সালের প্রিন্সটন অন্যতম। ১৮ শতকে কলেজের পাঠ্যক্রমে জ্যোতির্বিজ্ঞান, পদার্থবিজ্ঞান, আধুনিক ইতিহাস ও রাজনীতি বিষয়গুলো গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। কিছু কলেজ ১৮ শতকে নেটিভ আমেরিকান ছাত্রদের ভর্তি করার চেষ্টা করলেও আফ্রিকান-আমেরিকানদের ভর্তি করা হতো না।<ref>A People and a Nation, Eighth Edition</ref>
১৬৪০ সালে ''The whole Booke of Psalms Faithfully Translated into English Metre'', যা সাধারণভাবে বেই পসাল্ম বুক নামে পরিচিত, ক্যামব্রিজ, ম্যাসাচুসেটসে মুদ্রিত হয়। এটি ছিল নতুন পৃথিবীতে (নর্থ আমেরিকায়) লেখা প্রথম বই। এই বিখ্যাত ও প্রভাবশালী সঙ্গীতবইটির পর নিউ ইংল্যান্ডে একটি পূর্ণাঙ্গ প্রকাশনা শিল্প গড়ে ওঠে। ১৬৮৭ সালের কিছু পর ''New England Primer'' প্রকাশিত হয়, যা শিশুদের পড়া ও বানানের সহায়ক হিসেবে ব্যবহৃত হতো।
একটি বিকল্প শিক্ষাপদ্ধতি দেখা যায় বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিনের প্রতিষ্ঠিত আমেরিকান অ্যাকাডেমিতে, যা ১৭৫১ সালে ফিলাডেলফিয়ায় গঠিত হয়। এই প্রতিষ্ঠানটি আধুনিক আমেরিকান হাই স্কুলের কাছাকাছি একটি মডেল ছিল, যেখানে পেশাগত শিক্ষা দেওয়া হতো। এ ধরণের স্কুল পরে ক্লাসিক্যাল সেকেন্ডারি স্কুলের সংখ্যাকে ছাড়িয়ে যায়। তবে ফ্রাঙ্কলিনের অ্যাকাডেমিও ছিল ব্যক্তিমালিকানাধীন, ফলে এ শিক্ষালাভ সম্ভব ছিল কেবল অর্থবিত্তশালীদের জন্য।
এই সময়কালে উপনিবেশবাসীরা নেটিভ আমেরিকানদের খ্রিস্টধর্মে ধর্মান্তরিত করার চেষ্টা চালায়।<ref>http://www.encyclopedia.com/doc/1G2-2536600517.html</ref>
== পুনঃমূল্যায়ন প্রশ্নাবলী ==
১. নিচের উপনিবেশগুলোর মধ্যে একটি নির্বাচন করুন: নিউ ইয়র্ক, ভার্জিনিয়া, ম্যাসাচুসেটস, জর্জিয়া। এটি উপনিবেশের কোন তিনটি অঞ্চলের মধ্যে অবস্থিত? কেন এবং কীভাবে এটি শুরুতে উপনিবেশিকৃত হয়েছিল? এর অভিবাসী ও তাদের অনুসৃত ধর্ম কিভাবে ওই অঞ্চলের ওপর প্রভাব ফেলেছিল?
২. ব্রিটিশরা কেন উপনিবেশগুলোর সঙ্গে হস্তক্ষেপ করেছিল?
==উৎসসমূহ==
{{reflist}} {{chapnav|Exploration|Road to Revolution}} {{status|100%}} {{BookCat}}
asdh30ydpfgvmn1ak3tz27qat0kpmwi
84821
84819
2025-06-18T09:46:18Z
Mehedi Abedin
7113
84821
wikitext
text/x-wiki
== উপনিবেশ স্থাপনের ধরণ ==
রেনেসাঁ যুগে গ্রেট ব্রিটেনের দ্বীপগুলোতে ব্যাপক পরিবর্তন আসে, যার ফলে ইংল্যান্ডের চার্চ প্রতিষ্ঠিত হয়, ব্রিটিশ গৃহযুদ্ধ সংঘটিত হয় এবং অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও আইনগত ব্যবস্থার সম্পূর্ণ রূপান্তর ঘটে। তবুও এই সময়কালে, অন্যান্য জাতি এবং আমেরিকার নিজস্ব আদিবাসীদের চাপ সত্ত্বেও, ইংরেজদের একটি বৈচিত্র্যময় উপনিবেশ গড়ে ওঠে এবং সফল হয়।
এই নতুন উপনিবেশগুলো তিনটি ভিন্ন উপায়ে অর্থায়িত হয়েছিল। একটি পদ্ধতিতে, '''কর্পোরেট উপনিবেশ''' যৌথ স্টক কোম্পানির মাধ্যমে স্থাপিত হতো। যৌথ স্টক কোম্পানি এমন একটি প্রকল্প যেখানে লোকেরা একটি নতুন উপনিবেশ গড়ে তুলতে শেয়ার কিনে বিনিয়োগ করত। উপনিবেশটির সফলতার ওপর ভিত্তি করে, প্রতিটি বিনিয়োগকারী তার ক্রয়কৃত শেয়ারের অনুপাতে লাভ পেত। এই বিনিয়োগ সম্পূর্ণভাবে নিজে উপনিবেশ শুরু করার চেয়ে কম ঝুঁকিপূর্ণ ছিল এবং প্রতিটি বিনিয়োগকারী উপনিবেশ পরিচালনায় প্রভাব ফেলতে পারত। তারা প্রায়ই নিজেদের জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করত। (অন্য মহাদেশে একটি যৌথ স্টক কোম্পানির উদাহরণ হলো ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি)। ভার্জিনিয়ায় এইভাবে বসতি স্থাপন করা হয়েছিল।
'''প্রোপ্রাইটারি উপনিবেশ''' ছিল কোনো ব্যক্তি বা পরিবারের মালিকানাধীন, যারা তাদের ইচ্ছামতো আইন প্রণয়ন ও কর্মকর্তাদের নিয়োগ করত। এই মালিকানার কারণেই উন্নয়ন সরাসরি সংঘটিত হতো। চার্লস দ্বিতীয় উইলিয়াম পেনকে বর্তমান পেনসিলভেনিয়া অঞ্চলটি প্রদান করেন। পেনের নতুন উপনিবেশ কোয়াকারদের আশ্রয় দেয়, যারা ছিল সহস্রাব্দবাদী প্রোটেস্ট্যান্টদের একটি দল হিসেবে ইংল্যান্ডের চার্চের বিরোধিতা করত। (কোয়াকারদের মন্ত্রী থাকত না এবং তারা ধর্মীয় বা নাগরিক বৈষম্যকে মানত না, যা তাদের শ্রেণিভিত্তিক সমাজে বিপজ্জনক উপাদান করে তুলেছিল)। পেন ছিলেন একজন স্পষ্টবাদী কোয়াকার এবং তিনি কোয়াকার বিশ্বাস রক্ষায় অনেক প্রচারপত্র লিখেছিলেন। তিনি অন্যান্য দেশ ও প্রোটেস্ট্যান্ট সংখ্যালঘুদের—এমনকি কিছু ক্যাথলিককেও—উপনিবেশে আসতে আমন্ত্রণ জানান।
সবশেষে, '''রাজকীয় উপনিবেশ''' ছিল রাজা কর্তৃক সরাসরি নিয়ন্ত্রিত এবং সেখানে রাজার নিযুক্ত রাজ্যপাল থাকত। তবে রেজাল্টিং সেটেলমেন্ট বা গঠিত উপনিবেশগুলো সবসময় ইংল্যান্ডের অনুরূপ ছিল না। উদাহরণস্বরূপ, অষ্টম হেনরির শাসনকালে ইংল্যান্ড ক্যাথলিক ধর্ম থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছিল এবং পুরাতন বিশ্বাসকে শুধু ধর্মীয় ভ্রান্তি নয়, বরং বিদেশি আধিপত্যের পূর্বাভাস হিসেবে দেখা হতো। তবুও, মেরিল্যান্ডে ক্যাথলিকদের প্রতি সহনশীলতা ব্রিটিশ মুকুটের পক্ষ থেকে একটি অনুগ্রহ হিসেবে দেওয়া হয়েছিল। ১৬৩৪ সালে লর্ড বাল্টিমোর ইংল্যান্ডের জর্জ ক্যালভার্টকে ভার্জিনিয়ার উত্তরে ও পেনসিলভেনিয়ার দক্ষিণে একটি সরু ভূমি অঞ্চলে একটি ক্যাথলিক উপনিবেশ স্থাপন করার জন্য নিয়োগ দেন রাজকীয় সনদের মাধ্যমে। পনেরো বছর পরে, ১৬৪৯ সালে, তিনি সহনশীলতা আইনে স্বাক্ষর করেন, যা উপনিবেশবাসীদের জন্য ধর্মীয় স্বাধীনতা ঘোষণা করে। মূল সনদ সত্ত্বেও পরে প্রোটেস্ট্যান্টরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ ধর্মে পরিণত হয়। লর্ড বাল্টিমোরের মৃত্যুর কয়েক বছর পর, মেরিল্যান্ডের একজন বিশিষ্ট জমিদারের স্ত্রী মার্গারেট ব্রেন্ট উপনিবেশের গভর্নর হিসেবে তার উইল কার্যকর করেন। তিনি উপনিবেশগুলোতে লিঙ্গভিত্তিক সামাজিক নিয়ম ভেঙে দেন, কারণ তিনি ছিলেন ইংরেজ উপনিবেশে প্রথম অ-রাজপরিবারভুক্ত নারী শাসক।
== ম্যাসাচুসেটস বে উপনিবেশ ==
''ম্যাসাচুসেটস বে উপনিবেশ'' আরেকটি কর্পোরেট উপনিবেশ, যা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ইংল্যান্ড থেকে দূরে এমন একটি জায়গা হিসেবে, যেখানে ধর্মীয় ভিন্নমতাবলম্বীরা বসবাস করতে পারতো। পিউরিটানরা ছিল কট্টর প্রোটেস্টান্টদের একটি দল, যারা বাইবেলের মূল ধর্মে ফিরে যাওয়ার দাবি করত। তারা ইংল্যান্ডের রাষ্ট্রীয় চার্চের বিরোধিতা করায় নির্যাতনের শিকার হয় এবং অনেকেই প্রাণ হারায়। ১৬২০ সালে, ৪১ জন পিউরিটান (যারা নিজেদের "তীর্থযাত্রী" বা পিলগ্রিমস বলত) নতুন পৃথিবীর উদ্দেশ্যে যাত্রা করে।
পিলগ্রিমদের সমসাময়িক বিবরণ অনুযায়ী, তাদের মূল পরিকল্পনা ছিল বর্তমানে নিউ ইয়র্কের লং আইল্যান্ডের নিকটে হাডসন নদীর অঞ্চলে উপনিবেশ স্থাপন। কেপ কড দর্শনের পর তারা দক্ষিণ দিকে হাডসন নদীর দিকে যেতে চাইলেও, বিপজ্জনক সমুদ্রের সম্মুখীন হয়ে প্রায় জাহাজডুবির শিকার হয়। ফলে তারা আরেকবার দক্ষিণে যাওয়ার ঝুঁকি না নিয়ে কেপ কডেই ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নেয়। কয়েক সপ্তাহ ধরে উপযুক্ত উপনিবেশ স্থাপনের স্থান খোঁজার পর, মেফ্লাওয়ার জাহাজের যাত্রীরা অবশেষে বর্তমান ম্যাসাচুসেটসে ১৬২০ সালের ২৬ ডিসেম্বর প্লাইমাউথ-এ নোঙর করে। তখনকার সেখানে বসবাসকারী একটি আদিবাসী গোত্রের নামানুসারে তারা এটি "ম্যাসাচুসেটস" নামে অভিহিত করে।
[[File:The Mayflower Compact 1620 cph.3g07155.jpg|thumb|মেফ্লাওয়ারের যাত্রীরা "মেফ্লাওয়ার কম্প্যাক্ট"-এ স্বাক্ষর করছে]]
জন কারভারের মৃত্যুর পর গভর্নর দ্বারা নির্বাচিত উইলিয়াম ব্র্যাডফোর্ড একটি জার্নাল লেখেন, যা উপনিবেশবাসীদের দুঃখ-কষ্ট, আদিবাসীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ এবং পরবর্তীতে উপনিবেশের সাফল্য বোঝার জন্য গুরুত্বপূর্ণ দলিল হিসেবে বিবেচিত। পিলগ্রিমরা নিজেদের শাসনের জন্য মেফ্লাওয়ার কম্প্যাক্ট নামক এক চুক্তির মাধ্যমে একমত হয়, যা মেফ্লাওয়ার জাহাজেই স্বাক্ষরিত হয়। দুই বছর পর, তারা কমপ্যাক্টের অধীনে শুরু করা যৌথ মালিকানাভিত্তিক ব্যবস্থাকে ত্যাগ করে এবং ১৬২৩ সালে প্রতিটি পরিবারকে স্বতন্ত্র জমি ভাগ করে দেয়।
দশ বছর পরে, যৌথ স্টকভিত্তিক ম্যাসাচুসেটস বে কোম্পানি ইংল্যান্ডের রাজা চার্লসের কাছ থেকে একটি সনদ লাভ করে। প্লাইমাউথ উপনিবেশ পরে ম্যাসাচুসেটস বে উপনিবেশের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায়, তবে ১৬৯১ সাল পর্যন্ত এটি আলাদা অবস্থায় ছিল।
পরবর্তীতে, আরও বড় একটি পিলগ্রিম দল নতুন ম্যাসাচুসেটস বে উপনিবেশে অভিবাসন করে। যদিও এটি ইংল্যান্ডের রাষ্ট্রীয় চার্চের অনুসারী ছিল, উপনিবেশটি ধর্মীয় স্বাধীনতা দেয়নি। শুধুমাত্র (পুরুষ) পিউরিটানদের ভোটাধিকার ছিল, সহনশীলতা আইনের মাধ্যমে উপনিবেশে পিউরিটান ধর্মকে সরকারি ধর্ম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা হয় এবং যারা তাদের গির্জায় যেত না, তাদের শাস্তি দেওয়া হতো।
== নিউ ইয়র্ক ==
অন্যান্য দেশসমূহও অনুসন্ধান তহবিল জোগাতে যৌথ-স্টক কোম্পানি ব্যবহার করেছিল। ১৬০৯ সালে ডাচ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি উত্তর আমেরিকার পূর্ব উপকূলে ৩৮ থেকে ৪৫ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ পর্যন্ত বিস্তৃত একটি ভূখণ্ড আবিষ্কার করে। এটি ছিল হালভ মিন ("হাফ মুন") নামক একটি ইয়টের অভিযান, যার নেতৃত্বে ছিলেন হেনরি হাডসন। আদ্রিয়ান ব্লক এবং হেনড্রিক ক্রিস্টিয়ানস্ ১৬১১ থেকে ১৬১৪ সাল পর্যন্ত ঐ অঞ্চলের অনুসন্ধান চালান। ১৬১৪ সালের মার্চ মাসে নেদারল্যান্ডসের শাসন সংস্থা রাজ্য জেনারেল নতুন পৃথিবীতে বাণিজ্যের জন্য একচেটিয়া পেটেন্ট ঘোষণা করে। রাজ্য জেনারেল নিউ নেদারল্যান্ড উন্নয়নের জন্য একটি ব্যক্তিগত বাণিজ্যিক উদ্যোগ হিসেবে পেটেন্ট ইস্যু করে। নদীপথের সুরক্ষা এবং আদিবাসীদের সাথে বাণিজ্যের জন্য বর্তমানে আলবানি এলাকায় দ্রুত ফোর্ট ন্যাসাও নির্মাণ করা হয়। ১৬২৪ সালে নিউ নেদারল্যান্ড ডাচ প্রজাতন্ত্রের একটি প্রদেশে পরিণত হয়। পরবর্তীতে ইংরেজরা কেপ কডের উত্তরে অনুপ্রবেশ করায় উত্তর সীমা ৪২ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশে নামিয়ে আনা হয়।
ল অফ নেশনস অনুযায়ী, কোনো অঞ্চলের দাবি প্রতিষ্ঠা করতে হলে শুধু আবিষ্কার ও মানচিত্র তৈরিই নয়, বসতি স্থাপনও প্রয়োজন ছিল। ১৬২৪ সালের মে মাসে ডাচরা ৩০টি পরিবারকে নটেন এইলান্তে (বর্তমান গভর্নরস আইল্যান্ড) অবতরণ করিয়ে তাদের দাবি পূর্ণতা দেয়।
পরবর্তী কয়েক দশকে অদক্ষ ডিরেক্টর-জেনারেলদের দ্বারা নিউ নেদারল্যান্ড পরিচালিত হয়। উপনিবেশবাসীরা আদিবাসীদের আক্রমণের শিকার হন এবং ব্রিটিশ ও ডাচ সংঘাত উপনিবেশ ধ্বংসের পথে ঠেলে দেয়। কিন্তু ১৬৪৭ সালে পিটার স্টাইভসান্ট ডিরেক্টর-জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর সবকিছু বদলে যায়। উপনিবেশে এসে তিনি বলেছিলেন, “আমি তোমাদেরকে এক পিতার মতো শাসন করব।” তিনি উপনিবেশের সীমানা সম্প্রসারণ করেন। ১৬৫৫ সালে তিনি উত্তর ইউরোপের একমাত্র বসতি নিউ সুইডেন জয় করেন। ১৬৫০ সালে নিউ ইংল্যান্ডের সাথে সীমানা বিরোধ নিষ্পত্তি করেন। তিনি আদিবাসীদের হামলার বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা উন্নত করেন, এবং ১৬৪০ সালে যেখানে জনসংখ্যা ছিল ৫০০, তা ১৬৬৪ সালের মধ্যে বেড়ে দাঁড়ায় ৯,০০০-এ। কিন্তু ১৬৬৪ সালের আগস্ট মাসে চারটি ইংরেজ যুদ্ধজাহাজ নিউ ইয়র্ক বন্দরে এসে উপনিবেশ আত্মসমর্পণের দাবি করে। প্রথমে স্টাইভসান্ট প্রতিরোধ করার শপথ করেন, কিন্তু পর্যাপ্ত গোলাবারুদ ও বারুদের অভাবে এবং উপনিবেশবাসীদের দুর্বল সমর্থনে তিনি আত্মসমর্পণে বাধ্য হন। নিউ নেদারল্যান্ড পরবর্তীতে ব্রিটিশ ইয়র্কের ডিউকের সম্মানে "নিউ ইয়র্ক" নামে পরিচিত হয়।
বাণিজ্যে প্রাধান্য অর্জনের উদ্দেশ্যে ইংরেজরা ১৬৬৪ সালে ডাচদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। তারা আমেরিকার আটলান্টিক উপকূলে ডাচ বন্দর নিউ অ্যামস্টারডাম দখল করে। রাজা দ্বিতীয় চার্লসের ভাই জেমস নিউ অ্যামস্টারডাম এবং এর আশেপাশের ডাচ অঞ্চলগুলোর সনদ লাভ করেন।
১৬৭৩ সালে ডাচরা মিচিয়েল ডি রুইটারের নেতৃত্বে সাময়িকভাবে আবার নিউ নেদারল্যান্ড পুনর্দখল করে, এবং এইবার এর নাম দেয় নিউ অরেঞ্জ। কিন্তু তৃতীয় ইঙ্গ-ডাচ যুদ্ধের শেষে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হলে তারা অঞ্চলটি আবার ইংরেজদের কাছে ফিরিয়ে দেয়।
== অন্যান্য প্রারম্ভিক উপনিবেশে উপনিবেশ স্থাপনের ধরণ ==
ক্যারোলিনা অঞ্চলের নামকরণ করা হয়েছিল ব্রিটিশ রাজা প্রথম চার্লসের নামানুসারে, এবং এটি একটি মালিকানাভিত্তিক উপনিবেশ হিসেবে আটজন অভিজাত ব্যক্তিকে প্রদান করা হয়। এই মালিকগণ ক্যারোলিনাকে দুটি পৃথক উপনিবেশে ভাগ করে দেন – ''উত্তর ক্যারোলিনা'' এবং ''দক্ষিণ ক্যারোলিনা''।
চারটি উপনিবেশ ইতিমধ্যেই বিদ্যমান বৃহত্তর ভূখণ্ড থেকে বিভাজনের মাধ্যমে গঠিত হয়েছিল। নিউ হল্যান্ড যখন দখল করে নিউ ইয়র্কে রূপান্তরিত করা হয়, তখন রাজা জেমস ভূখণ্ডের একটি অংশ, বর্তমান ''নিউ জার্সি'', লর্ড বার্কলি ও স্যার জর্জ কার্টারেটকে প্রদান করেন, এবং বর্তমান নিউ ইয়র্ক নিজের জন্য একটি মালিকানাভিত্তিক উপনিবেশ হিসেবে রাখেন। স্যার জর্জ এসেছিলেন জার্সি দ্বীপপুঞ্জ থেকে, এবং সেই অনুযায়ী নতুন উপনিবেশের নাম রাখা হয়। ভূখণ্ডের আরেকটি অংশ হয়ে ওঠে ক্রাউন নিয়ন্ত্রিত উপনিবেশ ''কানেকটিকাট''। এই উপনিবেশের নামকরণ করা হয় সেখানকার আদি ইন্ডিয়ান জনগোষ্ঠীর নামানুসারে। ১৭০৪ সালে পেনসিলভানিয়ার একটি কোণ বিচ্ছিন্ন হয়ে ''ডেলাওয়্যার'' উপনিবেশে পরিণত হয়, যেখানে কোয়াকাররা বসবাস করত না। এর নামকরণ করা হয় টমাস ওয়েস্ট, তৃতীয় ব্যারন ডি লা ওয়্যারের নামে, যিনি ছিলেন রানি এলিজাবেথের আমলের একজন অভিজাত এবং খ্যাতিমান অভিযাত্রী।
''রোড আইল্যান্ড'' ছিল ধর্মীয় ও রাজনৈতিক স্বাধীনতার একটি অনন্য পরীক্ষা। রজার উইলিয়ামস যখন প্রচার করতে থাকেন যে যিশু খ্রিস্ট চেয়েছিলেন যাতে গির্জা শাসনক্ষমতা থেকে পৃথক থাকে, তখন ম্যাসাচুসেটস তাকে নির্বাসিত করে। চার্চ অব ইংল্যান্ড এবং পরবর্তীতে পিউরিটানদের বিরোধিতা করা এই ব্যক্তি হন প্রথম আমেরিকান ব্যাপটিস্ট। অন্যান্য উপনিবেশে নানা অভিযানের পর তিনি নারাগানসেট ইন্ডিয়ানদের কাছ থেকে জমি কিনে একটি নতুন বসতি স্থাপন করেন। প্রভিডেন্স গঠিত হয়েছিল ধর্মীয় জটিলতা থেকে মুক্ত একটি উপনিবেশ এবং বিবেকবান মানুষের আশ্রয়স্থল হিসেবে। পরে তার অনুসরণে আসেন অ্যান হাচিনসন। তিনি বোস্টনের ধর্মীয় নেতাদের ক্ষুব্ধ করেছিলেন কারণ তিনি একজন নারী হয়েও প্রচার করতেন, এবং তিনি বিশ্বাস করতেন যে কার্যের সঙ্গে কৃপার সম্পর্ক সবসময় থাকে না, যা পিউরিটান মতবাদের বিরুদ্ধে। তিনিও ইন্ডিয়ানদের কাছ থেকে জমি কিনেছিলেন। সেখানে গঠিত হয় ''পোর্টসমাউথ'' নামের বসতি, এবং পরে একটি মতানৈক্যপূর্ণ সহোদর শহর ''নিউপোর্ট''। উপনিবেশটি আংশিকভাবে আকুইডনেক দ্বীপের উপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠে, যা পরবর্তীতে অজানা কারণে রোড আইল্যান্ড নামে পরিচিতি পায়, এবং পুরো উপনিবেশের নাম ওই স্থান থেকে নেওয়া হয়।
''জর্জিয়া'' ছিল আরেকটি মালিকানাভিত্তিক উপনিবেশ, যা রাজা প্রথম জর্জের নামানুসারে নামকরণ করা হয়। ১৭৩২ সালে জেমস ওগলথর্প ও অন্যান্যদের কাছে এর চার্টার প্রদান করা হয়। এটি অন্যান্য উপনিবেশকে ফ্লোরিডার স্প্যানিশ ও লুইজিয়ানার ফরাসিদের আক্রমণ থেকে রক্ষার জন্য একটি "বাফার" উপনিবেশ হিসেবে পরিকল্পিত ছিল। এই কারণে, জর্জিয়া ছিল একমাত্র উপনিবেশ যেটি প্রতিষ্ঠার সময় থেকেই ব্রিটিশ রাজশক্তির আর্থিক সহায়তা পেয়েছিল। তৎকালীন ব্রিটেনে ঋণগ্রস্ত মানুষদের কারাগারে পাঠানো হতো। এই ধরনের অনেক বন্দিকে অতিরিক্ত ভিড়যুক্ত জেল থেকে মুক্ত করে জর্জিয়া উপনিবেশে পাঠানো হয়। তখন আমেরিকাকে ইতিমধ্যে সমৃদ্ধির ভূমি হিসেবে দেখা হচ্ছিল, এবং ওগলথর্প আশা করেছিলেন এই প্রাক্তন বন্দিরা দ্রুত সৎ ও ধনী হয়ে উঠবে। কিন্তু লন্ডনের জেলখানার অধিকাংশ বন্দিই নতুন অজানা বন্য অঞ্চলে টিকে থাকার জ্ঞান রাখত না।
== ব্রিটিশ উপনিবেশগুলোর একটি চিত্র ==
উপনিবেশগুলোকে প্রায়শই তিনটি ভাগে বিবেচনা করা হয়: '''নিউ ইংল্যান্ড''' (নিউ হ্যাম্পশায়ার, ম্যাসাচুসেটস, রোড আইল্যান্ড, কানেকটিকাট), '''দক্ষিণ উপনিবেশসমূহ''' (মেরিল্যান্ড, ভার্জিনিয়া, ক্যারোলিনাসমূহ এবং জর্জিয়া), এবং '''মধ্য উপনিবেশসমূহ''' (নিউ ইয়র্ক, নিউ জার্সি, পেনসিলভানিয়া এবং ডেলাওয়্যার)। কখনও কখনও ক্যারোলিনাগুলো এবং জর্জিয়াকে চেসাপিক উপনিবেশ থেকে আলাদাভাবে গণ্য করা হয়।
প্রত্যেকটি গোষ্ঠীর ভৌগোলিক ও অর্থনৈতিক বৈশিষ্ট্য ছিল। নিউ ইংল্যান্ডের পাথুরে মাটি কেবল ছোট খামারের পক্ষে উপযুক্ত ছিল এবং কৃষিকাজের সুযোগ সীমিত ছিল। ফলে, এই অঞ্চলের লোকেরা অর্থ উপার্জনের জন্য মাছ ধরা, বনজ সম্পদ আহরণ, জাহাজ পরিবহন ও ক্ষুদ্র শিল্পের ওপর নির্ভর করত।<ref>{{cite book |last = Morison |first = Samuel Eliot |coauthors = |title = The Oxford History of the American People |publisher = Mentor |year = 1972 |location = New York City |pages =199–200 |url = |doi = |id = |isbn = 0451-62600-1 }}</ref>
দক্ষিণ উপনিবেশের উর্বর জমি ব্যক্তি মালিকদের দ্বারা দখল হয়, যারা বড় আকারের খামার তৈরি করে তামাক এবং পরবর্তীতে তুলা চাষ করত। ক্যারোলিনাদ্বয়ে চিনি, ধান ও নীল গাছও চাষ হতো। ১৭শ শতকে এসব ফসল খাটিয়ে নেওয়া হতো চুক্তিভিত্তিক শ্রমিকদের দ্বারা, যারা আমেরিকায় আসার জন্য ভাড়ার বিনিময়ে নির্দিষ্ট বছর কাজ করত এবং পরবর্তীতে জমির অধিকার পেত। এদের অনেকেই চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই মারা যেত। ১৬৭৬ সালে চুক্তিভিত্তিক শ্রমিকদের একটি দল বেকনের বিদ্রোহে অংশগ্রহণ করে। এই বিদ্রোহের পর বৃহৎ খামারগুলো আফ্রিকান ক্রীতদাসদের কাজে লাগাতে শুরু করে। যদিও অনেক চুক্তিভুক্ত শ্বেতাঙ্গ পরবর্তীতে মুক্ত হয়, তারা সামাজিকভাবে নিম্নবর্গেই থেকে যায়, যদিও তারা ক্রমাগত কঠোরতর দাসবিধির আওতায় পড়ত না—এই দাসবিধিগুলো দক্ষিণ উপনিবেশে দাসদের প্রায় সব স্বাধীনতা অস্বীকার করত। মার্কিন বিপ্লবের সময়, প্রতি পাঁচজন উপনিবেশবাসীর মধ্যে একজন ছিলেন আফ্রিকান দাস। আর দক্ষিণে দাসশ্রমে উৎপন্ন পণ্যই ছিল মধ্য উপনিবেশ ও নিউ ইংল্যান্ডের শহরগুলোর ভোগ ও বাণিজ্যের প্রধান উপকরণ। খুব কম লোকই দাসভিত্তিক অর্থনীতিকে প্রশ্ন করত।
মধ্য উপনিবেশে ছিল মাঝারি আকারের খামার। এসব উপনিবেশে ছিল বিভিন্ন সংস্কৃতি ও বিশ্বাসের মানুষ। এই রাজ্যগুলোতেও চুক্তিভিত্তিক শ্রমিক এবং পরে দাস ব্যবহার করা হতো, কিন্তু দক্ষিণ উপনিবেশের মতো বিশালসংখ্যক দাসশ্রমের ব্যবহার সেখানে দেখা যেত না।
আরেকটি পার্থক্য ছিল ধর্মীয় চর্চায়। নিউ ইংল্যান্ড ছিল মূলত কনগ্রিগেশনালিস্ট, কিছুটা প্রেসবিটারিয়ান এবং নিজেকে ব্যাপটিস্ট দাবি করা ধর্মীয় অসামঞ্জস্যবাদীদের উপস্থিতি ছিল। তারা সবাই ছিলেন ব্রিটিশ গৃহযুদ্ধের পূর্ব ও সময়কার ধর্মীয় ভিন্নমতাবলম্বীদের উত্তরসূরি। দক্ষিণে প্রধানত অ্যাংলিকানরা ছিল, যারা ধর্মীয় ও ধর্মবহির্ভূত ঐতিহ্য ও ছুটির দিনগুলোকে মূল্য দিত। মধ্য উপনিবেশে ছিল হল্যান্ড, জার্মান ভূখণ্ড ও এমনকি বোহেমিয়ার ছোট ছোট জনগোষ্ঠী, যারা নিয়ে এসেছিল ক্যাথলিক ও প্রোটেস্টান্ট বিশ্বাসের বৈচিত্র্য।
যেসব শ্বেতাঙ্গকে ইংরেজ কর্তৃপক্ষ আমেরিকায় পাঠিয়েছিল, তাদের মধ্যে অনেক স্কটস-আইরিশ ছিল, যারা আলস্টার থেকে আগত। এরা ছিল ক্যালভিনবাদী প্রোটেস্টান্ট, যাদের অবস্থান ছিল আইরিশ ক্যাথলিক সংখ্যাগোষ্ঠীর মধ্যে এবং তারা উভয় পক্ষ ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধেই অবস্থান করত। এই সংখ্যালঘু দল অ্যাপালাচিয়ান পর্বতমালা এবং পরে ওহাইও ও মিসিসিপি অঞ্চলের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে বসতি স্থাপন করেছিল। আমেরিকায় তারা ভূমি ও স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষায় সামান্য খরচে উপনিবেশের সীমান্তকে পশ্চিম দিকে প্রসারিত করেছিল, এবং পূর্বাঞ্চলের বসতিগুলো ও স্থানচ্যুত আদিবাসী গোষ্ঠীর মধ্যে একপ্রকার সশস্ত্র সীমানা রক্ষা করেছিল। উপনিবেশিক সীমান্তবাসীদের জীবন ছিল অত্যন্ত কষ্টকর—তারা নিজের হাতে ঘন বনাঞ্চলে শহর ও খামার গড়ে তুলত, দারিদ্র্য ও আদিবাসী আক্রমণের মুখোমুখি হয়ে।
প্রত্যেকটি উপনিবেশ স্থানীয় ধর্মবিশ্বাস ও সামর্থ্য অনুযায়ী শিক্ষাদান ও বিনোদনের নিজস্ব ক্ষেত্র গড়ে তোলে। দক্ষিণাঞ্চলের সংস্কৃতিতে সংগীতনাট্যে আগ্রহ দেখা যায়, যার কেন্দ্র ছিল চার্লসটন, সাউথ ক্যারোলিনা এবং উইলিয়ামসবার্গ, ভার্জিনিয়া। ১৭৫০ সালে নিউ ইয়র্ক সিটিতে শেক্সপিয়ারের "রিচার্ড থার্ড" নাটকের একটি পেশাদার পরিবেশনা হয়, যা ছিল আমেরিকায় শেক্সপিয়ারের প্রথম পেশাদার নাট্য পরিবেশনা। প্রচারক, বক্তা ও গায়করা উপনিবেশবাসীদের বিনোদন দিতেন।
তাদের মধ্যে পার্থক্যের চেয়ে মিলই ছিল বেশি। তিনটি অঞ্চলেই জনসংখ্যা প্রধানত ব্রিটিশ দ্বীপপুঞ্জ থেকে আগত। প্রত্যেকটির সড়কব্যবস্থা ছিল অত্যন্ত খারাপ, এবং আটলান্টিক মহাসাগরের মাধ্যমে তারা পরিবহণের সংযোগ রাখত। এরা সবাই আটলান্টিক অর্থনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিল। আটলান্টিক অঞ্চলের বণিকেরা জাহাজে করে আমেরিকা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ইউরোপ এবং আফ্রিকার মধ্যে দাস, তামাক, রাম, চিনি, সোনা, রূপা, মসলা, মাছ, কাঠ এবং প্রস্তুত পণ্য আদান-প্রদান করত।<ref>{{cite book|title=Cod: A Biography of the Fish That Changed the World|last=Kurlansky|first=Mark|publisher=New York: Walker|isbn=0-8027-1326-2}}</ref> নিউ ইয়র্ক, ফিলাডেলফিয়া, বোস্টন ও চার্লসটন ছিল সে সময়ের বৃহত্তম শহর এবং প্রধান বন্দর।<ref>{{cite web| url= http://www.census.gov/population/www/documentation/twps0027/tab02.txt| title= Earliest Population Figures for American Cities | author= U.S. Census Bureau|accessdate=2010-08-29}}</ref>
== প্রাথমিক প্রযুক্তি ==
প্রথম দফার উপনিবেশকারীরা খেটে খাওয়া শ্রমের মাধ্যমে তাদের খামার চাষ করতেন এবং কুমারশিল্প ও চামড়া ট্যানিংয়ের মতো ভূমিভিত্তিক হস্তশিল্প গড়ে তুলেছিলেন। পরবর্তী সময়ে জাহাজে করে গরু ও ঘোড়া আনা হলে খসড়া প্রাণী অর্থনীতির অংশ হয়ে ওঠে। চুক্তিভিত্তিক শ্রমিক এবং পরে আফ্রিকা থেকে অপহৃত দাসদের আমদানি করা হয়। তখনই বৃহৎ আকারের কারখানা স্থাপিত হতে শুরু করে। অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষভাগে ছোট পরিসরে যন্ত্রনির্ভর উৎপাদনশিল্প দেখা দেয়। লোকজন কয়লা ও লৌহ আকরিক খনন শুরু করে। নিউ ইংল্যান্ড ওই আকরিক ব্যবহার করে নির্মাণ সরঞ্জাম ও ঘোড়ার নাল তৈরি করতে শুরু করে। দক্ষিণের তুলার ওপর নির্ভরশীল একটি নতুন বস্ত্রশিল্প গড়ে ওঠে। কাঠ বা কয়লা দ্বারা চালিত এবং শক্তিশালী ধাতুর চাহিদায় পরিচালিত গৃহস্থালির ধাতুকর্মে লোহা গলানোর নতুন কৌশল উদ্ভাবিত হয়। লোহার কাজ করা কারিগর ও টিনশিল্পীরা বড় বসতিগুলোর অংশ হয়ে ওঠে। উপনিবেশগুলো যান্ত্রিক ঘড়ি, আগ্নেয়াস্ত্র এবং ছাপাখানার জন্য সীসা টাইপ তৈরি করতে শুরু করে।
<gallery mode="packed" heights="150px">
File:The Francis Skerry Beaker, Jeremiah Dummer, American, c. 1670, silver - Fogg Art Museum, Harvard University - DSC01384.jpg|১৬৭০ সালের কাছাকাছি সময়ে আমেরিকায় জন্মগ্রহণকারী প্রথম রূপকার [[w:Jeremiah Dummer (silversmith)|জেরেমায়া ডামার]] নির্মিত একটি রূপার বীকার।
File:First Slave Auction 1655 Howard Pyle.jpg|১৬৫৫ সালে নিউ আমস্টারডামে অনুষ্ঠিত প্রথম দাস নিলামের চিত্র। (১৮৯৫ সালের চিত্রাঙ্কন)
File:WestFrontMansionMountVernon.jpg|মাউন্ট ভারন প্ল্যান্টেশন, নির্মিত ১৭৫৮ সালে। যখন জর্জ ওয়াশিংটন ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেন, তখনও তিনি তার নিজের দাসদের ধরে রেখেছিলেন, যারা নিজেরাও স্বাধীনতার অভাবে অসন্তুষ্ট ছিলেন।<ref>{{cite web |title=Resistance and Punishment |url=https://www.mountvernon.org/george-washington/slavery/resistance-and-punishment/ |website=George Washington's Mount Vernon |accessdate=19 September 2020 |language=en}}</ref>
File:Parkman Tavern, Concord MA.jpg|[[w:Parkman Tavern|পার্কম্যান ট্যাভার্ন]], ম্যাসাচুসেটসের কনকর্ডের ১৬৫৯ সালে নির্মিত।
</gallery>
== বাণিজ্যনৈতিক মতবাদ, সহনশীল অবহেলা ও ব্রিটিশ হস্তক্ষেপ ==
আমেরিকান উপনিবেশগুলো যারা সমুদ্র দিয়ে বিচ্ছিন্ন একেবারে নতুন সমাজ ছিল, তারা বিশ্বাস করত যে তাদের নিজেদের শাসনের অধিকার রয়েছে। এই বিশ্বাসকে উৎসাহিত করেছিল ব্রিটেনের গৌরবময় বিপ্লব এবং ১৬৮৯ সালের অধিকার আইন, যা পার্লামেন্টকে সর্বোচ্চ শাসনক্ষমতা দেয়। '''সহনশীল অবহেলার''' নামে পরিচিত অপেক্ষাকৃত শিথিল নিয়ন্ত্রণের এই নীতির অবসান ঘটে ব্রিটিশ নিয়ন্ত্রণ বৃদ্ধি পাওয়ার মাধ্যমে, যা বাণিজ্যনৈতিক মতবাদের প্রভাবে এবং লর্ডস অফ ট্রেড ও পরবর্তী পরিভ্রমণ আইনগুলোর মাধ্যমে প্রতিফলিত হয়।
=== বাণিজ্যনৈতিক মতবাদ ===
পার্লামেন্ট '''বাণিজ্যনৈতিক মতবাদ''' নামক অর্থনৈতিক নীতির অনুসরণে উপনিবেশগুলোর বাণিজ্যের ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করে। এই মতবাদের মূল ধারণা ছিল—একটি জাতির অর্থনৈতিক শক্তি নির্ভর করে তার রপ্তানি পণ্যের মূল্যের ওপর। একটি দেশ তার উপনিবেশগুলোর মাধ্যমে কাঁচামালের পরিবর্তে প্রস্তুত পণ্য উৎপাদন করতে পারে। এই পণ্যগুলো অন্যান্য দেশের সঙ্গে বিনিময় করে উপনিবেশকারী দেশের শক্তি বাড়ানো সম্ভব। এই নীতির প্রবর্তক ছিলেন ফরাসি অর্থনীতিবিদ জঁ-বাতিস্ত কোলবে। এটি ব্রিটেনের জন্য অত্যন্ত উপযোগী মনে করা হয়। স্পেনের অর্থনৈতিক ভিত্তি ছিল আমেরিকান সোনা, আর ফ্রান্সের ছিল আমেরিকান পশম। ইংল্যান্ডের কাছে সোনা বা পশম ছিল না, তবে তাদের ছিল আমেরিকান তুলা, মলাসেস (আখের গুড়), তামাক, এবং উন্নত মানের জাহাজ। ১৭০০ শতকের মধ্যভাগ পর্যন্ত উপনিবেশগুলো "সহনশীল অবহেলা"-এর দীর্ঘ সময় উপভোগ করেছিল, যেখানে ব্রিটিশরা প্রায়ই উপনিবেশগুলিকে নিজেদের মতো করে পরিচালনা করতে দিত। পরে সেই সময় শেষ হয়।
=== লর্ডস অফ ট্রেড ===
বাণিজ্যনৈতিক নীতিগুলো কার্যকর করার প্রয়াসে রাজা দ্বিতীয় চার্লস প্রিভি কাউন্সিলের একটি নতুন কমিটি হিসেবে '''লর্ডস অফ ট্রেড''' গঠন করেন। এই লর্ডরা উপনিবেশগুলোর শাসন ইংরেজদের পক্ষে উপযোগী করার চেষ্টা করেন, যা উপনিবেশবাসীদের পক্ষে অনুকূল ছিল না।
লর্ডস অফ ট্রেড চেয়েছিল সমস্ত আমেরিকান উপনিবেশকে রাজকীয় উপনিবেশে রূপান্তর করতে, যাতে ক্রাউনের শক্তি বাড়ানো যায়। রাজা দ্বিতীয় জেমসের শাসনকালে (দ্বিতীয় চার্লসের উত্তরসূরি) নিউ ইয়র্ক, নিউ জার্সি এবং পুরিটান উপনিবেশগুলোকে একত্র করে ১৬৮৭ সালে “নিউ ইংল্যান্ড অধিরাজ্য” গঠন করা হয়।
তবে এই অধিরাজ্য অল্পদিন টিকে ছিল। দ্বিতীয় জেমস ছিলেন ক্যাথলিক, আর ব্রিটিশ প্রোটেস্টান্টরা তাকে হুমকি মনে করত। গৌরবময় বিপ্লবে (১৬৮৮) তাকে সিংহাসনচ্যুত করা হয় (পার্লামেন্ট তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে সিংহাসন ত্যাগ করানো হয়েছে বলে ধরে নেয়)। ১৬৮৯ সালে জেমসের কন্যা দ্বিতীয় মেরি ও তার স্বামী তৃতীয় উইলিয়াম যুগ্মভাবে সিংহাসনে বসেন। তবে প্রকৃত ক্ষমতা ছিল ব্রিটিশ পার্লামেন্টের হাতে। নিউ ইংল্যান্ড অধিরাজ্য বিলুপ্ত হয়, পৃথক উপনিবেশগুলো পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয় এবং লর্ডস অফ ট্রেড বিলুপ্ত হয় (এর পরিবর্তে কেবল উপদেষ্টা ভিত্তিক একটি বোর্ড অফ ট্রেড গঠিত হয়)।
=== পরিভ্রমণ আইনসমূহ ===
১৬৬০ সাল থেকে ইংল্যান্ডের পার্লামেন্ট '''পরিভ্রমণ আইনসমূহ''' প্রণয়ন করতে থাকে, যাতে তারা তাদের উপনিবেশ থেকে বেশি লাভ তুলতে পারে। এসব আইনের অধীনে নির্ধারিত হয় যে যেকোনো উপনিবেশিক আমদানি-রপ্তানি কেবলমাত্র ইংল্যান্ডে নিবন্ধিত জাহাজে পরিবাহিত হতে পারবে—মানে শুধুমাত্র ইংল্যান্ডই জাহাজ চলাচলের ক্ষমতা ও এর থেকে আসা মুনাফা ভোগ করবে। তামাক ও চিনি রপ্তানি শুধুমাত্র ইংল্যান্ডে করা যাবে, অন্য কোনো দেশে নয়। (তখন তামাক ও চিনি দুটোই ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হতো—চিনির দ্বারা অ্যালকোহল তৈরি করা হতো যা ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হতো)। এবং উপনিবেশগুলো কোনো বিদেশি নির্মিত পণ্য আমদানি করতে পারত না, যদি না সেগুলো প্রথমে ইংল্যান্ডে নিয়ে যাওয়া হতো, সেখানে শুল্ক পরিশোধ করা হতো, তারপর সেগুলো উপনিবেশে পাঠানো হতো।
১৭৩০-এর দশকে চিনি আইন অনুযায়ী উপনিবেশগুলোতে আমদানি হওয়া প্রতি গ্যালন চিনি বা মলাসেসের ওপর ছয় পেন্স কর আরোপ করা হয়। ১৭৫০ সালের মধ্যে পার্লামেন্ট আরও অনেক পণ্যের ওপর নিষেধাজ্ঞা, নিয়ন্ত্রণ বা কর আরোপ করতে শুরু করে। তারা উপনিবেশে সমস্ত ধরনের উৎপাদন ঠেকাতে চায়। এই নীতিগুলো উপনিবেশবাসীদের মধ্যে প্রবল ক্ষোভ সৃষ্টি করে, যদিও ইউরোপের অন্যান্য রাজতন্ত্রের প্রজাদের তুলনায় তাদের করভার তুলনামূলকভাবে কম ছিল।
উপনিবেশবাসীরা পরিভ্রমণ আইনগুলোকে ঘৃণা করত, কারণ তারা বিশ্বাস করত যে নিজেরা বাণিজ্য করতে পারলে আরও সমৃদ্ধ ও ধনী হতে পারবে। তারা আরও বিশ্বাস করত যে কিছু গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ ইংল্যান্ডে পাওয়া যায় না।
== ১৭০০-এর দশকে আদিবাসীরা ==
গ্রেট প্লেইন্স-এর আদিবাসীরা:
আজকের দিনে, যেই অঞ্চল জুড়ে গ্রেট প্লেইন্স-এর সমস্ত আদিবাসীরা বাস করতেন, তা রকি পর্বতমালা থেকে মিসিসিপি নদী পর্যন্ত বিস্তৃত। ১৭০০-এর দশকে, প্রায় ৩০টি গোত্র এই গ্রেট প্লেইন্স অঞ্চলে বসবাস করত। এই গোত্রগুলো মূলত খাদ্য এবং দৈনন্দিন অন্যান্য প্রয়োজনীয়তার জন্য মহিষের ওপর নির্ভর করত। আদিবাসীরা—বিশেষ করে নারীরা—তাদের পোশাক মহিষের চামড়া দিয়ে তৈরি করতেন, তবে তারা হরিণের চামড়াও ব্যবহার করতেন। নারীরা মৃত হরিণ বা মহিষের চামড়া জলে ভিজিয়ে রাখতেন এবং এরপর তার লোম চেঁছে ফেলতেন।<ref name="englar">Englar, Mary. The Great Plains Indians: Daily Life in the 1700s. Mankato, MN: Capstone, 2006. Print.</ref>
তদ্ব্যতীত, আদিবাসী গোত্রগুলো একে অপরের সঙ্গে বাণিজ্য করত। একজন ব্যক্তির কাছে যত বেশি ঘোড়া থাকত, তাকে তত বেশি ধনী বলে মনে করা হতো; আদিবাসীরা তাদের ঘোড়ার বিনিময়ে খাদ্য, যন্ত্রপাতি, অস্ত্র (যেমন বন্দুক), এবং পশুচর্ম বিনিময় করত। যেহেতু বিভিন্ন গোত্রের ভাষা একে অপরের থেকে ভিন্ন ছিল, তাই তারা পারস্পরিক বাণিজ্যের সময় সাঙ্কেতিক ভাষা ব্যবহার করত।<ref name="englar" />
== ফিলাডেলফিয়া নির্বাচনী দাঙ্গা ==
১৭৪২ সালে নির্বাচনের দিনে ফিলাডেলফিয়ায় একটি দাঙ্গা শুরু হয়, যার কারণ ছিল অ্যাঙ্গলিকান জনগণের কোয়াকার সংখ্যাগোষ্ঠীর সঙ্গে মতবিরোধ। এই দাঙ্গার মূল কারণ ছিল অ্যাঙ্গলিকান ও কোয়াকার জনগণের মধ্যে ক্ষমতার দ্বন্দ্ব। কোয়াকাররা ফিলাডেলফিয়ায় দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক আধিপত্য বজায় রেখেছিল। জার্মান জনগণ কোয়াকারদের ভোটকে সমর্থন করেছিল, কারণ কোয়াকার অহিংস নীতির ফলে কর বাড়ার সম্ভাবনা এবং শেষ পর্যন্ত বাধ্যতামূলক সৈন্যভর্তির আশঙ্কা কমে যেত। নির্বাচনের দিনে অ্যাঙ্গলিকান ও নাবিকেরা কোয়াকার এবং জার্মানদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। কোয়াকাররা কোর্টহাউসে আশ্রয় নিতে সক্ষম হয় এবং নির্বাচন সম্পন্ন করে। অ্যাঙ্গলিকান দল নির্বাচনে পরাজিত হয় এবং দাঙ্গার পর ৫৪ জন নাবিককে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়।
== শিক্ষা ==
১৭০০-এর দশকে উপনিবেশগুলোর তিনটি অঞ্চল ভিন্ন ভিন্ন আগ্রহসম্পন্ন জনগোষ্ঠী নিয়ে গঠিত ছিল, ফলে তারা তাদের শিশুদের জন্য ভিন্নধর্মী শিক্ষা প্রদান করত। যদিও কিছু সাধারণ বৈশিষ্ট্য ছিল — তিন অঞ্চলের যে কোনো ধনী পরিবার তাদের পুত্রকে ইউরোপে পড়তে পাঠাতে পারত — তবুও বিভিন্ন উপনিবেশে শিক্ষাদানের ধরণে পার্থক্য দেখা যেত।
নিউ ইংল্যান্ডে শিক্ষার উদ্দেশ্য ছিল সামাজিক ও ধর্মীয় উভয়ই। একজন সুশীল নাগরিককে অবশ্যই বাইবেল জানতে হতো। ১৬৪৭ সালের ম্যাসাচুসেটস জেনারেল স্কুল আইন বলেছিল, যদি কোনো অঞ্চলে ৫০টির বেশি পরিবার বসবাস করে, তবে একজন স্কুলশিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে। এই আইনের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছিল: "সেই পুরাতন প্রতারক, শয়তানের অন্যতম প্রধান কৌশল হলো মানুষকে বাইবেলের জ্ঞান থেকে দূরে রাখা, যেমন পূর্বকালে অজানা ভাষায় বাইবেল রেখে আর বর্তমানে ভাষা ব্যবহারে নিরুৎসাহিত করে; যাতে মূল বক্তব্য বিভিন্ন মিথ্যা ব্যাখ্যা ও সান্ত-সদৃশ প্রতারকদের দ্বারা বিকৃত হয়; এবং যেন শিক্ষা আমাদের পূর্বপুরুষদের কবরে চাপা না পড়ে, গির্জা ও রাষ্ট্রে তা টিকে থাকে, প্রভুর সহায়তায় আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।" এটি ছিল পিলগ্রিমদের নীতিমালা, যা তারা স্বৈরাচারীদের চাপিয়ে দেওয়া অজ্ঞতার বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠা করেছিল। ছেলে ও মেয়েরা প্রায়শই তাদের বাবা-মায়ের কাছেই বাইবেল পড়তে শিখত, সম্ভবত একটি "হর্নবুক" ব্যবহার করে — এক ধরণের বর্ণমালা ও শব্দতালিকা পাতা, যেটি শিং দিয়ে মোড়ানো থাকত।
শুধু বাইবেল পড়তে পারলেই চলবে না, একজন খ্রিস্টানকে অবশ্যই তার সমাজে শাসন করতে পারতে হবে। (''তার'' সমাজে: কারণ সরকার পরিচালনা ছিল ধার্মিক, সম্পত্তিধারী পুরুষদের অধিকার, নারীদের নয়।) এই উদ্দেশ্যে তরুণদের ক্লাসিক্যাল শিক্ষা — মূলত লাতিনভিত্তিক — অর্জন করতে হতো। ১৬৪৭ সালের আইন ছিল আমেরিকান গ্রামার স্কুলের সূচনা, যা শুরুতে লাতিন পড়াত, পরে এতে নেভিগেশন, প্রকৌশল, হিসাবরক্ষণ, ও বিদেশি ভাষার মতো ব্যবহারিক বিষয় যুক্ত হয়।<ref>A People and a Nation, Eighth Edition</ref> উপনিবেশিক যুগে খোলা বেশিরভাগ স্কুল ছিল ব্যক্তিমালিকানাধীন।<ref>http://www.excite.com/education/education/history-of-american-education</ref> তবে এর আগে ছিল প্রথম সরকার-সমর্থিত বিদ্যালয়, ১৬৩৫ সালে প্রতিষ্ঠিত বোস্টন লাতিন স্কুল। এর পাঠ্যক্রম ছিল কঠোর, ফলে ছাত্রসংখ্যা ছিল কম। হার্ভার্ড ছিল আমেরিকার প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়, ১৬৩৬ সালে প্রতিষ্ঠিত, মূলত প্রোটেস্টান্ট ধর্মযাজকদের প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্যে। ক্লাসিক্যাল পাঠ্যক্রম থেকে স্নাতকের সংখ্যা খুবই কম ছিল, ফলে উপস্থিতিও ছিল কম। কেউ কেউ সরাসরি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতো, কেউ ১৪ বা ১৫ বছর বয়সেই হার্ভার্ডে ঢুকত। কটন ম্যাথার ১৫ বছর বয়সে হার্ভার্ড থেকে স্নাতক হয়েছিলেন, যা ছিল তার অস্বাভাবিক প্রতিভার কারণে ব্যতিক্রম। ব্যক্তিগত স্কুলে ছেলে ও মেয়েরা হাতের লেখা, মৌলিক গণিত, ইংরেজি পড়া ও লেখা শিখত। এরপর তারা বিভিন্ন পেশায় শিক্ষানবিশ হিসেবে প্রবেশ করত। যারা গৃহপরিচারিকা হতো না, তারা গৃহস্থালি কাজের জন্য প্রশিক্ষিত হতো — সূচিশিল্প, রান্না, এবং কয়েকদিন ধরে কাপড় ধোয়ার মতো কাজ শেখানো হতো।
নিউ ইংল্যান্ডের মতো, মধ্য উপনিবেশগুলোতেও বেসরকারি স্কুল ছিল, যেখানে পড়া ও লেখা শেখানো হতো। তবে মৌলিক শিক্ষা সেখানে আরও দুর্লভ ছিল। পশ্চিমে যত দূরে কেউ বাস করত, স্কুলে যাওয়া কিংবা পড়তে ও লিখতে শেখার সম্ভাবনা ততই কম হতো। জাতিগত ও ধর্মীয় উপগোষ্ঠীগুলো নিজেদের শিশুদের জন্য নিজেদের নিয়মে বেসরকারি স্কুল চালাত। কোনো উপনিবেশেই উচ্চশিক্ষা নিশ্চিত ছিল না। মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলো বড় শহর — যেমন বোস্টন, নিউ ইয়র্ক, ফিলাডেলফিয়া ও চার্লসটন — ছাড়া খুবই বিরল ছিল।<ref>A People and a Nation Eighth Edition</ref>
চেসাপিক অঞ্চলের অভিজ্ঞতা ছিল একেবারেই ভিন্ন। শিশুদের পড়তে ও লিখতে পারার পূর্বশর্ত ছিল, তাদের বাবা-মাও যদি তা পারেন।<ref>A People and a Nation Eighth Edition</ref> দক্ষিণে বিপ্লবী যুগ পর্যন্ত খুব কম সংখ্যক স্কুল ছিল, যেকোনো ধরণেরই হোক না কেন। ধনী পরিবারের শিশুরা ব্যক্তিগত শিক্ষকের অধীনে পড়াশোনা করত। ধনী মেয়েরা 'নারীসুলভ শিল্পকলায়' শিক্ষিত হতো, তবে তাদের পাঠ্যক্রম ভাইদের মতো হতো না। মার্থা ওয়াশিংটনের নাতনি এলিজা কাস্টিস তার সৎপিতার বিদ্রূপের কথা বলেছিলেন, যখন তিনি বলেছিলেন "[আমার] দুঃখ লেগেছিল, তারা আমাকে গ্রিক ও লাতিন শেখাতে চায়নি, কারণ আমি মেয়ে — তারা হাসল এবং বলল, মেয়েদের এসব জানার দরকার নেই, সেলাই, লেখা, অঙ্ক এবং সংগীতই যথেষ্ট।"<ref>Edmund S. Morgan. Virginians At Home: Family Life in the Eighteenth Century. Charlottesville, VA: Dominion Books, 1962(1952). P. 17</ref> মধ্যবিত্ত শিশুরা বাবা-মায়ের কাছেই পড়া শিখত, আর গরিব শিশুদের অনেকেই, বিশেষ করে কৃষ্ণাঙ্গ শিশুরা, কোনো শিক্ষাই পেত না। দক্ষিণে স্বাক্ষরতার হার উত্তরাঞ্চলের তুলনায় কম ছিল, যা উনবিংশ শতাব্দী পর্যন্ত বজায় ছিল।<ref>A People and a Nation, Eighth Edition</ref>
[[File:Harvard Old College.jpg|thumb|১৬৩৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হার্ভার্ড যুক্তরাষ্ট্রের সর্বপ্রথম উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান।]]
১৬৯৩ সালে কলেজ অব উইলিয়াম অ্যান্ড ম্যারি প্রতিষ্ঠিত হয়, যা ছিল ভার্জিনিয়ার প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়। ১৮ শতক গড়িয়ে এলে এটি ধর্মতত্ত্বের বদলে আইনশাস্ত্রে বিশেষীকরণ শুরু করে।<ref>Morgan, p. 27.</ref> ১৭০১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ''Collegiate College''। ১৭১৮ সালে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির ওয়েলশ গভর্নর এলিহু ইয়েলের অনুদানে এর নাম হয় ইয়েল কলেজ। পরে আরও কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় গঠিত হয়, যার মধ্যে ১৭৪৭ সালের প্রিন্সটন অন্যতম। ১৮ শতকে কলেজের পাঠ্যক্রমে জ্যোতির্বিজ্ঞান, পদার্থবিজ্ঞান, আধুনিক ইতিহাস ও রাজনীতি বিষয়গুলো গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। কিছু কলেজ ১৮ শতকে নেটিভ আমেরিকান ছাত্রদের ভর্তি করার চেষ্টা করলেও আফ্রিকান-আমেরিকানদের ভর্তি করা হতো না।<ref>A People and a Nation, Eighth Edition</ref>
১৬৪০ সালে ''The whole Booke of Psalms Faithfully Translated into English Metre'', যা সাধারণভাবে বেই পসাল্ম বুক নামে পরিচিত, ক্যামব্রিজ, ম্যাসাচুসেটসে মুদ্রিত হয়। এটি ছিল নতুন পৃথিবীতে (নর্থ আমেরিকায়) লেখা প্রথম বই। এই বিখ্যাত ও প্রভাবশালী সঙ্গীতবইটির পর নিউ ইংল্যান্ডে একটি পূর্ণাঙ্গ প্রকাশনা শিল্প গড়ে ওঠে। ১৬৮৭ সালের কিছু পর ''New England Primer'' প্রকাশিত হয়, যা শিশুদের পড়া ও বানানের সহায়ক হিসেবে ব্যবহৃত হতো।
একটি বিকল্প শিক্ষাপদ্ধতি দেখা যায় বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিনের প্রতিষ্ঠিত আমেরিকান অ্যাকাডেমিতে, যা ১৭৫১ সালে ফিলাডেলফিয়ায় গঠিত হয়। এই প্রতিষ্ঠানটি আধুনিক আমেরিকান হাই স্কুলের কাছাকাছি একটি মডেল ছিল, যেখানে পেশাগত শিক্ষা দেওয়া হতো। এ ধরণের স্কুল পরে ক্লাসিক্যাল সেকেন্ডারি স্কুলের সংখ্যাকে ছাড়িয়ে যায়। তবে ফ্রাঙ্কলিনের অ্যাকাডেমিও ছিল ব্যক্তিমালিকানাধীন, ফলে এ শিক্ষালাভ সম্ভব ছিল কেবল অর্থবিত্তশালীদের জন্য।
এই সময়কালে উপনিবেশবাসীরা নেটিভ আমেরিকানদের খ্রিস্টধর্মে ধর্মান্তরিত করার চেষ্টা চালায়।<ref>http://www.encyclopedia.com/doc/1G2-2536600517.html</ref>
== পুনঃমূল্যায়ন প্রশ্নাবলী ==
১. নিচের উপনিবেশগুলোর মধ্যে একটি নির্বাচন করুন: নিউ ইয়র্ক, ভার্জিনিয়া, ম্যাসাচুসেটস, জর্জিয়া। এটি উপনিবেশের কোন তিনটি অঞ্চলের মধ্যে অবস্থিত? কেন এবং কীভাবে এটি শুরুতে উপনিবেশিকৃত হয়েছিল? এর অভিবাসী ও তাদের অনুসৃত ধর্ম কিভাবে ওই অঞ্চলের ওপর প্রভাব ফেলেছিল?
২. ব্রিটিশরা কেন উপনিবেশগুলোর সঙ্গে হস্তক্ষেপ করেছিল?
==উৎসসমূহ==
{{reflist}} {{chapnav|Exploration|Road to Revolution}} {{status|100%}} {{BookCat}}
c0o8b5ixrsrzkj3b0tijmfme9h2dump
84822
84821
2025-06-18T09:51:26Z
Mehedi Abedin
7113
84822
wikitext
text/x-wiki
== উপনিবেশ স্থাপনের ধরণ ==
রেনেসাঁ যুগে গ্রেট ব্রিটেনের দ্বীপগুলোতে ব্যাপক পরিবর্তন আসে, যার ফলে ইংল্যান্ডের চার্চ প্রতিষ্ঠিত হয়, ব্রিটিশ গৃহযুদ্ধ সংঘটিত হয় এবং অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও আইনগত ব্যবস্থার সম্পূর্ণ রূপান্তর ঘটে। তবুও এই সময়কালে, অন্যান্য জাতি এবং আমেরিকার নিজস্ব আদিবাসীদের চাপ সত্ত্বেও, ইংরেজদের একটি বৈচিত্র্যময় উপনিবেশ গড়ে ওঠে এবং সফল হয়।
এই নতুন উপনিবেশগুলো তিনটি ভিন্ন উপায়ে অর্থায়িত হয়েছিল। একটি পদ্ধতিতে, '''কর্পোরেট উপনিবেশ''' যৌথ স্টক কোম্পানির মাধ্যমে স্থাপিত হতো। যৌথ স্টক কোম্পানি এমন একটি প্রকল্প যেখানে লোকেরা একটি নতুন উপনিবেশ গড়ে তুলতে শেয়ার কিনে বিনিয়োগ করত। উপনিবেশটির সফলতার ওপর ভিত্তি করে, প্রতিটি বিনিয়োগকারী তার ক্রয়কৃত শেয়ারের অনুপাতে লাভ পেত। এই বিনিয়োগ সম্পূর্ণভাবে নিজে উপনিবেশ শুরু করার চেয়ে কম ঝুঁকিপূর্ণ ছিল এবং প্রতিটি বিনিয়োগকারী উপনিবেশ পরিচালনায় প্রভাব ফেলতে পারত। তারা প্রায়ই নিজেদের জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করত। (অন্য মহাদেশে একটি যৌথ স্টক কোম্পানির উদাহরণ হলো ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি)। ভার্জিনিয়ায় এইভাবে বসতি স্থাপন করা হয়েছিল।
'''প্রোপ্রাইটারি উপনিবেশ''' ছিল কোনো ব্যক্তি বা পরিবারের মালিকানাধীন, যারা তাদের ইচ্ছামতো আইন প্রণয়ন ও কর্মকর্তাদের নিয়োগ করত। এই মালিকানার কারণেই উন্নয়ন সরাসরি সংঘটিত হতো। চার্লস দ্বিতীয় উইলিয়াম পেনকে বর্তমান পেনসিলভেনিয়া অঞ্চলটি প্রদান করেন। পেনের নতুন উপনিবেশ কোয়াকারদের আশ্রয় দেয়, যারা ছিল সহস্রাব্দবাদী প্রোটেস্ট্যান্টদের একটি দল হিসেবে ইংল্যান্ডের চার্চের বিরোধিতা করত। (কোয়াকারদের মন্ত্রী থাকত না এবং তারা ধর্মীয় বা নাগরিক বৈষম্যকে মানত না, যা তাদের শ্রেণিভিত্তিক সমাজে বিপজ্জনক উপাদান করে তুলেছিল)। পেন ছিলেন একজন স্পষ্টবাদী কোয়াকার এবং তিনি কোয়াকার বিশ্বাস রক্ষায় অনেক প্রচারপত্র লিখেছিলেন। তিনি অন্যান্য দেশ ও প্রোটেস্ট্যান্ট সংখ্যালঘুদের—এমনকি কিছু ক্যাথলিককেও—উপনিবেশে আসতে আমন্ত্রণ জানান।
সবশেষে, '''রাজকীয় উপনিবেশ''' ছিল রাজা কর্তৃক সরাসরি নিয়ন্ত্রিত এবং সেখানে রাজার নিযুক্ত রাজ্যপাল থাকত। তবে রেজাল্টিং সেটেলমেন্ট বা গঠিত উপনিবেশগুলো সবসময় ইংল্যান্ডের অনুরূপ ছিল না। উদাহরণস্বরূপ, অষ্টম হেনরির শাসনকালে ইংল্যান্ড ক্যাথলিক ধর্ম থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছিল এবং পুরাতন বিশ্বাসকে শুধু ধর্মীয় ভ্রান্তি নয়, বরং বিদেশি আধিপত্যের পূর্বাভাস হিসেবে দেখা হতো। তবুও, মেরিল্যান্ডে ক্যাথলিকদের প্রতি সহনশীলতা ব্রিটিশ মুকুটের পক্ষ থেকে একটি অনুগ্রহ হিসেবে দেওয়া হয়েছিল। ১৬৩৪ সালে লর্ড বাল্টিমোর ইংল্যান্ডের জর্জ ক্যালভার্টকে ভার্জিনিয়ার উত্তরে ও পেনসিলভেনিয়ার দক্ষিণে একটি সরু ভূমি অঞ্চলে একটি ক্যাথলিক উপনিবেশ স্থাপন করার জন্য নিয়োগ দেন রাজকীয় সনদের মাধ্যমে। পনেরো বছর পরে, ১৬৪৯ সালে, তিনি সহনশীলতা আইনে স্বাক্ষর করেন, যা উপনিবেশবাসীদের জন্য ধর্মীয় স্বাধীনতা ঘোষণা করে। মূল সনদ সত্ত্বেও পরে প্রোটেস্ট্যান্টরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ ধর্মে পরিণত হয়। লর্ড বাল্টিমোরের মৃত্যুর কয়েক বছর পর, মেরিল্যান্ডের একজন বিশিষ্ট জমিদারের স্ত্রী মার্গারেট ব্রেন্ট উপনিবেশের গভর্নর হিসেবে তার উইল কার্যকর করেন। তিনি উপনিবেশগুলোতে লিঙ্গভিত্তিক সামাজিক নিয়ম ভেঙে দেন, কারণ তিনি ছিলেন ইংরেজ উপনিবেশে প্রথম অ-রাজপরিবারভুক্ত নারী শাসক।
== ম্যাসাচুসেটস বে উপনিবেশ ==
''ম্যাসাচুসেটস বে উপনিবেশ'' আরেকটি কর্পোরেট উপনিবেশ, যা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ইংল্যান্ড থেকে দূরে এমন একটি জায়গা হিসেবে, যেখানে ধর্মীয় ভিন্নমতাবলম্বীরা বসবাস করতে পারতো। পিউরিটানরা ছিল কট্টর প্রোটেস্টান্টদের একটি দল, যারা বাইবেলের মূল ধর্মে ফিরে যাওয়ার দাবি করত। তারা ইংল্যান্ডের রাষ্ট্রীয় চার্চের বিরোধিতা করায় নির্যাতনের শিকার হয় এবং অনেকেই প্রাণ হারায়। ১৬২০ সালে, ৪১ জন পিউরিটান (যারা নিজেদের "তীর্থযাত্রী" বা পিলগ্রিমস বলত) নতুন পৃথিবীর উদ্দেশ্যে যাত্রা করে।
পিলগ্রিমদের সমসাময়িক বিবরণ অনুযায়ী, তাদের মূল পরিকল্পনা ছিল বর্তমানে নিউ ইয়র্কের লং আইল্যান্ডের নিকটে হাডসন নদীর অঞ্চলে উপনিবেশ স্থাপন। কেপ কড দর্শনের পর তারা দক্ষিণ দিকে হাডসন নদীর দিকে যেতে চাইলেও, বিপজ্জনক সমুদ্রের সম্মুখীন হয়ে প্রায় জাহাজডুবির শিকার হয়। ফলে তারা আরেকবার দক্ষিণে যাওয়ার ঝুঁকি না নিয়ে কেপ কডেই ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নেয়। কয়েক সপ্তাহ ধরে উপযুক্ত উপনিবেশ স্থাপনের স্থান খোঁজার পর, মেফ্লাওয়ার জাহাজের যাত্রীরা অবশেষে বর্তমান ম্যাসাচুসেটসে ১৬২০ সালের ২৬ ডিসেম্বর প্লাইমাউথ-এ নোঙর করে। তখনকার সেখানে বসবাসকারী একটি আদিবাসী গোত্রের নামানুসারে তারা এটি "ম্যাসাচুসেটস" নামে অভিহিত করে।
[[File:The Mayflower Compact 1620 cph.3g07155.jpg|thumb|মেফ্লাওয়ারের যাত্রীরা "মেফ্লাওয়ার কম্প্যাক্ট"-এ স্বাক্ষর করছে]]
জন কারভারের মৃত্যুর পর গভর্নর দ্বারা নির্বাচিত উইলিয়াম ব্র্যাডফোর্ড একটি জার্নাল লেখেন, যা উপনিবেশবাসীদের দুঃখ-কষ্ট, আদিবাসীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ এবং পরবর্তীতে উপনিবেশের সাফল্য বোঝার জন্য গুরুত্বপূর্ণ দলিল হিসেবে বিবেচিত। পিলগ্রিমরা নিজেদের শাসনের জন্য মেফ্লাওয়ার কম্প্যাক্ট নামক এক চুক্তির মাধ্যমে একমত হয়, যা মেফ্লাওয়ার জাহাজেই স্বাক্ষরিত হয়। দুই বছর পর, তারা কমপ্যাক্টের অধীনে শুরু করা যৌথ মালিকানাভিত্তিক ব্যবস্থাকে ত্যাগ করে এবং ১৬২৩ সালে প্রতিটি পরিবারকে স্বতন্ত্র জমি ভাগ করে দেয়।
দশ বছর পরে, যৌথ স্টকভিত্তিক ম্যাসাচুসেটস বে কোম্পানি ইংল্যান্ডের রাজা চার্লসের কাছ থেকে একটি সনদ লাভ করে। প্লাইমাউথ উপনিবেশ পরে ম্যাসাচুসেটস বে উপনিবেশের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায়, তবে ১৬৯১ সাল পর্যন্ত এটি আলাদা অবস্থায় ছিল।
পরবর্তীতে, আরও বড় একটি পিলগ্রিম দল নতুন ম্যাসাচুসেটস বে উপনিবেশে অভিবাসন করে। যদিও এটি ইংল্যান্ডের রাষ্ট্রীয় চার্চের অনুসারী ছিল, উপনিবেশটি ধর্মীয় স্বাধীনতা দেয়নি। শুধুমাত্র (পুরুষ) পিউরিটানদের ভোটাধিকার ছিল, সহনশীলতা আইনের মাধ্যমে উপনিবেশে পিউরিটান ধর্মকে সরকারি ধর্ম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা হয় এবং যারা তাদের গির্জায় যেত না, তাদের শাস্তি দেওয়া হতো।
== নিউ ইয়র্ক ==
অন্যান্য দেশসমূহও অনুসন্ধান তহবিল জোগাতে যৌথ-স্টক কোম্পানি ব্যবহার করেছিল। ১৬০৯ সালে ডাচ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি উত্তর আমেরিকার পূর্ব উপকূলে ৩৮ থেকে ৪৫ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ পর্যন্ত বিস্তৃত একটি ভূখণ্ড আবিষ্কার করে। এটি ছিল হালভ মিন ("হাফ মুন") নামক একটি ইয়টের অভিযান, যার নেতৃত্বে ছিলেন হেনরি হাডসন। আদ্রিয়ান ব্লক এবং হেনড্রিক ক্রিস্টিয়ানস্ ১৬১১ থেকে ১৬১৪ সাল পর্যন্ত ঐ অঞ্চলের অনুসন্ধান চালান। ১৬১৪ সালের মার্চ মাসে নেদারল্যান্ডসের শাসন সংস্থা রাজ্য জেনারেল নতুন পৃথিবীতে বাণিজ্যের জন্য একচেটিয়া পেটেন্ট ঘোষণা করে। রাজ্য জেনারেল নিউ নেদারল্যান্ড উন্নয়নের জন্য একটি ব্যক্তিগত বাণিজ্যিক উদ্যোগ হিসেবে পেটেন্ট ইস্যু করে। নদীপথের সুরক্ষা এবং আদিবাসীদের সাথে বাণিজ্যের জন্য বর্তমানে আলবানি এলাকায় দ্রুত ফোর্ট ন্যাসাও নির্মাণ করা হয়। ১৬২৪ সালে নিউ নেদারল্যান্ড ডাচ প্রজাতন্ত্রের একটি প্রদেশে পরিণত হয়। পরবর্তীতে ইংরেজরা কেপ কডের উত্তরে অনুপ্রবেশ করায় উত্তর সীমা ৪২ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশে নামিয়ে আনা হয়।
ল অফ নেশনস অনুযায়ী, কোনো অঞ্চলের দাবি প্রতিষ্ঠা করতে হলে শুধু আবিষ্কার ও মানচিত্র তৈরিই নয়, বসতি স্থাপনও প্রয়োজন ছিল। ১৬২৪ সালের মে মাসে ডাচরা ৩০টি পরিবারকে নটেন এইলান্তে (বর্তমান গভর্নরস আইল্যান্ড) অবতরণ করিয়ে তাদের দাবি পূর্ণতা দেয়।
পরবর্তী কয়েক দশকে অদক্ষ ডিরেক্টর-জেনারেলদের দ্বারা নিউ নেদারল্যান্ড পরিচালিত হয়। উপনিবেশবাসীরা আদিবাসীদের আক্রমণের শিকার হন এবং ব্রিটিশ ও ডাচ সংঘাত উপনিবেশ ধ্বংসের পথে ঠেলে দেয়। কিন্তু ১৬৪৭ সালে পিটার স্টাইভসান্ট ডিরেক্টর-জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর সবকিছু বদলে যায়। উপনিবেশে এসে তিনি বলেছিলেন, “আমি তোমাদেরকে এক পিতার মতো শাসন করব।” তিনি উপনিবেশের সীমানা সম্প্রসারণ করেন। ১৬৫৫ সালে তিনি উত্তর ইউরোপের একমাত্র বসতি নিউ সুইডেন জয় করেন। ১৬৫০ সালে নিউ ইংল্যান্ডের সাথে সীমানা বিরোধ নিষ্পত্তি করেন। তিনি আদিবাসীদের হামলার বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা উন্নত করেন, এবং ১৬৪০ সালে যেখানে জনসংখ্যা ছিল ৫০০, তা ১৬৬৪ সালের মধ্যে বেড়ে দাঁড়ায় ৯,০০০-এ। কিন্তু ১৬৬৪ সালের আগস্ট মাসে চারটি ইংরেজ যুদ্ধজাহাজ নিউ ইয়র্ক বন্দরে এসে উপনিবেশ আত্মসমর্পণের দাবি করে। প্রথমে স্টাইভসান্ট প্রতিরোধ করার শপথ করেন, কিন্তু পর্যাপ্ত গোলাবারুদ ও বারুদের অভাবে এবং উপনিবেশবাসীদের দুর্বল সমর্থনে তিনি আত্মসমর্পণে বাধ্য হন। নিউ নেদারল্যান্ড পরবর্তীতে ব্রিটিশ ইয়র্কের ডিউকের সম্মানে "নিউ ইয়র্ক" নামে পরিচিত হয়।
বাণিজ্যে প্রাধান্য অর্জনের উদ্দেশ্যে ইংরেজরা ১৬৬৪ সালে ডাচদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। তারা আমেরিকার আটলান্টিক উপকূলে ডাচ বন্দর নিউ অ্যামস্টারডাম দখল করে। রাজা দ্বিতীয় চার্লসের ভাই জেমস নিউ অ্যামস্টারডাম এবং এর আশেপাশের ডাচ অঞ্চলগুলোর সনদ লাভ করেন।
১৬৭৩ সালে ডাচরা মিচিয়েল ডি রুইটারের নেতৃত্বে সাময়িকভাবে আবার নিউ নেদারল্যান্ড পুনর্দখল করে, এবং এইবার এর নাম দেয় নিউ অরেঞ্জ। কিন্তু তৃতীয় ইঙ্গ-ডাচ যুদ্ধের শেষে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হলে তারা অঞ্চলটি আবার ইংরেজদের কাছে ফিরিয়ে দেয়।
== অন্যান্য প্রারম্ভিক উপনিবেশে উপনিবেশ স্থাপনের ধরণ ==
ক্যারোলিনা অঞ্চলের নামকরণ করা হয়েছিল ব্রিটিশ রাজা প্রথম চার্লসের নামানুসারে, এবং এটি একটি মালিকানাভিত্তিক উপনিবেশ হিসেবে আটজন অভিজাত ব্যক্তিকে প্রদান করা হয়। এই মালিকগণ ক্যারোলিনাকে দুটি পৃথক উপনিবেশে ভাগ করে দেন – ''উত্তর ক্যারোলিনা'' এবং ''দক্ষিণ ক্যারোলিনা''।
চারটি উপনিবেশ ইতিমধ্যেই বিদ্যমান বৃহত্তর ভূখণ্ড থেকে বিভাজনের মাধ্যমে গঠিত হয়েছিল। নিউ হল্যান্ড যখন দখল করে নিউ ইয়র্কে রূপান্তরিত করা হয়, তখন রাজা জেমস ভূখণ্ডের একটি অংশ, বর্তমান ''নিউ জার্সি'', লর্ড বার্কলি ও স্যার জর্জ কার্টারেটকে প্রদান করেন, এবং বর্তমান নিউ ইয়র্ক নিজের জন্য একটি মালিকানাভিত্তিক উপনিবেশ হিসেবে রাখেন। স্যার জর্জ এসেছিলেন জার্সি দ্বীপপুঞ্জ থেকে, এবং সেই অনুযায়ী নতুন উপনিবেশের নাম রাখা হয়। ভূখণ্ডের আরেকটি অংশ হয়ে ওঠে ক্রাউন নিয়ন্ত্রিত উপনিবেশ ''কানেকটিকাট''। এই উপনিবেশের নামকরণ করা হয় সেখানকার আদি ইন্ডিয়ান জনগোষ্ঠীর নামানুসারে। ১৭০৪ সালে পেনসিলভানিয়ার একটি কোণ বিচ্ছিন্ন হয়ে ''ডেলাওয়্যার'' উপনিবেশে পরিণত হয়, যেখানে কোয়াকাররা বসবাস করত না। এর নামকরণ করা হয় টমাস ওয়েস্ট, তৃতীয় ব্যারন ডি লা ওয়্যারের নামে, যিনি ছিলেন রানি এলিজাবেথের আমলের একজন অভিজাত এবং খ্যাতিমান অভিযাত্রী।
''রোড আইল্যান্ড'' ছিল ধর্মীয় ও রাজনৈতিক স্বাধীনতার একটি অনন্য পরীক্ষা। রজার উইলিয়ামস যখন প্রচার করতে থাকেন যে যিশু খ্রিস্ট চেয়েছিলেন যাতে গির্জা শাসনক্ষমতা থেকে পৃথক থাকে, তখন ম্যাসাচুসেটস তাকে নির্বাসিত করে। চার্চ অব ইংল্যান্ড এবং পরবর্তীতে পিউরিটানদের বিরোধিতা করা এই ব্যক্তি হন প্রথম আমেরিকান ব্যাপটিস্ট। অন্যান্য উপনিবেশে নানা অভিযানের পর তিনি নারাগানসেট ইন্ডিয়ানদের কাছ থেকে জমি কিনে একটি নতুন বসতি স্থাপন করেন। প্রভিডেন্স গঠিত হয়েছিল ধর্মীয় জটিলতা থেকে মুক্ত একটি উপনিবেশ এবং বিবেকবান মানুষের আশ্রয়স্থল হিসেবে। পরে তার অনুসরণে আসেন অ্যান হাচিনসন। তিনি বোস্টনের ধর্মীয় নেতাদের ক্ষুব্ধ করেছিলেন কারণ তিনি একজন নারী হয়েও প্রচার করতেন, এবং তিনি বিশ্বাস করতেন যে কার্যের সঙ্গে কৃপার সম্পর্ক সবসময় থাকে না, যা পিউরিটান মতবাদের বিরুদ্ধে। তিনিও ইন্ডিয়ানদের কাছ থেকে জমি কিনেছিলেন। সেখানে গঠিত হয় ''পোর্টসমাউথ'' নামের বসতি, এবং পরে একটি মতানৈক্যপূর্ণ সহোদর শহর ''নিউপোর্ট''। উপনিবেশটি আংশিকভাবে আকুইডনেক দ্বীপের উপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠে, যা পরবর্তীতে অজানা কারণে রোড আইল্যান্ড নামে পরিচিতি পায়, এবং পুরো উপনিবেশের নাম ওই স্থান থেকে নেওয়া হয়।
''জর্জিয়া'' ছিল আরেকটি মালিকানাভিত্তিক উপনিবেশ, যা রাজা প্রথম জর্জের নামানুসারে নামকরণ করা হয়। ১৭৩২ সালে জেমস ওগলথর্প ও অন্যান্যদের কাছে এর চার্টার প্রদান করা হয়। এটি অন্যান্য উপনিবেশকে ফ্লোরিডার স্প্যানিশ ও লুইজিয়ানার ফরাসিদের আক্রমণ থেকে রক্ষার জন্য একটি "বাফার" উপনিবেশ হিসেবে পরিকল্পিত ছিল। এই কারণে, জর্জিয়া ছিল একমাত্র উপনিবেশ যেটি প্রতিষ্ঠার সময় থেকেই ব্রিটিশ রাজশক্তির আর্থিক সহায়তা পেয়েছিল। তৎকালীন ব্রিটেনে ঋণগ্রস্ত মানুষদের কারাগারে পাঠানো হতো। এই ধরনের অনেক বন্দিকে অতিরিক্ত ভিড়যুক্ত জেল থেকে মুক্ত করে জর্জিয়া উপনিবেশে পাঠানো হয়। তখন আমেরিকাকে ইতিমধ্যে সমৃদ্ধির ভূমি হিসেবে দেখা হচ্ছিল, এবং ওগলথর্প আশা করেছিলেন এই প্রাক্তন বন্দিরা দ্রুত সৎ ও ধনী হয়ে উঠবে। কিন্তু লন্ডনের জেলখানার অধিকাংশ বন্দিই নতুন অজানা বন্য অঞ্চলে টিকে থাকার জ্ঞান রাখত না।
== ব্রিটিশ উপনিবেশগুলোর একটি চিত্র ==
উপনিবেশগুলোকে প্রায়শই তিনটি ভাগে বিবেচনা করা হয়: '''নিউ ইংল্যান্ড''' (নিউ হ্যাম্পশায়ার, ম্যাসাচুসেটস, রোড আইল্যান্ড, কানেকটিকাট), '''দক্ষিণ উপনিবেশসমূহ''' (মেরিল্যান্ড, ভার্জিনিয়া, ক্যারোলিনাসমূহ এবং জর্জিয়া), এবং '''মধ্য উপনিবেশসমূহ''' (নিউ ইয়র্ক, নিউ জার্সি, পেনসিলভানিয়া এবং ডেলাওয়্যার)। কখনও কখনও ক্যারোলিনাগুলো এবং জর্জিয়াকে চেসাপিক উপনিবেশ থেকে আলাদাভাবে গণ্য করা হয়।
প্রত্যেকটি গোষ্ঠীর ভৌগোলিক ও অর্থনৈতিক বৈশিষ্ট্য ছিল। নিউ ইংল্যান্ডের পাথুরে মাটি কেবল ছোট খামারের পক্ষে উপযুক্ত ছিল এবং কৃষিকাজের সুযোগ সীমিত ছিল। ফলে, এই অঞ্চলের লোকেরা অর্থ উপার্জনের জন্য মাছ ধরা, বনজ সম্পদ আহরণ, জাহাজ পরিবহন ও ক্ষুদ্র শিল্পের ওপর নির্ভর করত।<ref>{{cite book |last = Morison |first = Samuel Eliot |coauthors = |title = The Oxford History of the American People |publisher = Mentor |year = 1972 |location = New York City |pages =199–200 |url = |doi = |id = |isbn = 0451-62600-1 }}</ref>
দক্ষিণ উপনিবেশের উর্বর জমি ব্যক্তি মালিকদের দ্বারা দখল হয়, যারা বড় আকারের খামার তৈরি করে তামাক এবং পরবর্তীতে তুলা চাষ করত। ক্যারোলিনাদ্বয়ে চিনি, ধান ও নীল গাছও চাষ হতো। ১৭শ শতকে এসব ফসল খাটিয়ে নেওয়া হতো চুক্তিভিত্তিক শ্রমিকদের দ্বারা, যারা আমেরিকায় আসার জন্য ভাড়ার বিনিময়ে নির্দিষ্ট বছর কাজ করত এবং পরবর্তীতে জমির অধিকার পেত। এদের অনেকেই চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই মারা যেত। ১৬৭৬ সালে চুক্তিভিত্তিক শ্রমিকদের একটি দল বেকনের বিদ্রোহে অংশগ্রহণ করে। এই বিদ্রোহের পর বৃহৎ খামারগুলো আফ্রিকান ক্রীতদাসদের কাজে লাগাতে শুরু করে। যদিও অনেক চুক্তিভুক্ত শ্বেতাঙ্গ পরবর্তীতে মুক্ত হয়, তারা সামাজিকভাবে নিম্নবর্গেই থেকে যায়, যদিও তারা ক্রমাগত কঠোরতর দাসবিধির আওতায় পড়ত না—এই দাসবিধিগুলো দক্ষিণ উপনিবেশে দাসদের প্রায় সব স্বাধীনতা অস্বীকার করত। মার্কিন বিপ্লবের সময়, প্রতি পাঁচজন উপনিবেশবাসীর মধ্যে একজন ছিলেন আফ্রিকান দাস। আর দক্ষিণে দাসশ্রমে উৎপন্ন পণ্যই ছিল মধ্য উপনিবেশ ও নিউ ইংল্যান্ডের শহরগুলোর ভোগ ও বাণিজ্যের প্রধান উপকরণ। খুব কম লোকই দাসভিত্তিক অর্থনীতিকে প্রশ্ন করত।
মধ্য উপনিবেশে ছিল মাঝারি আকারের খামার। এসব উপনিবেশে ছিল বিভিন্ন সংস্কৃতি ও বিশ্বাসের মানুষ। এই রাজ্যগুলোতেও চুক্তিভিত্তিক শ্রমিক এবং পরে দাস ব্যবহার করা হতো, কিন্তু দক্ষিণ উপনিবেশের মতো বিশালসংখ্যক দাসশ্রমের ব্যবহার সেখানে দেখা যেত না।
আরেকটি পার্থক্য ছিল ধর্মীয় চর্চায়। নিউ ইংল্যান্ড ছিল মূলত কনগ্রিগেশনালিস্ট, কিছুটা প্রেসবিটারিয়ান এবং নিজেকে ব্যাপটিস্ট দাবি করা ধর্মীয় অসামঞ্জস্যবাদীদের উপস্থিতি ছিল। তারা সবাই ছিলেন ব্রিটিশ গৃহযুদ্ধের পূর্ব ও সময়কার ধর্মীয় ভিন্নমতাবলম্বীদের উত্তরসূরি। দক্ষিণে প্রধানত অ্যাংলিকানরা ছিল, যারা ধর্মীয় ও ধর্মবহির্ভূত ঐতিহ্য ও ছুটির দিনগুলোকে মূল্য দিত। মধ্য উপনিবেশে ছিল হল্যান্ড, জার্মান ভূখণ্ড ও এমনকি বোহেমিয়ার ছোট ছোট জনগোষ্ঠী, যারা নিয়ে এসেছিল ক্যাথলিক ও প্রোটেস্টান্ট বিশ্বাসের বৈচিত্র্য।
যেসব শ্বেতাঙ্গকে ইংরেজ কর্তৃপক্ষ আমেরিকায় পাঠিয়েছিল, তাদের মধ্যে অনেক স্কটস-আইরিশ ছিল, যারা আলস্টার থেকে আগত। এরা ছিল ক্যালভিনবাদী প্রোটেস্টান্ট, যাদের অবস্থান ছিল আইরিশ ক্যাথলিক সংখ্যাগোষ্ঠীর মধ্যে এবং তারা উভয় পক্ষ ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধেই অবস্থান করত। এই সংখ্যালঘু দল অ্যাপালাচিয়ান পর্বতমালা এবং পরে ওহাইও ও মিসিসিপি অঞ্চলের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে বসতি স্থাপন করেছিল। আমেরিকায় তারা ভূমি ও স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষায় সামান্য খরচে উপনিবেশের সীমান্তকে পশ্চিম দিকে প্রসারিত করেছিল, এবং পূর্বাঞ্চলের বসতিগুলো ও স্থানচ্যুত আদিবাসী গোষ্ঠীর মধ্যে একপ্রকার সশস্ত্র সীমানা রক্ষা করেছিল। উপনিবেশিক সীমান্তবাসীদের জীবন ছিল অত্যন্ত কষ্টকর—তারা নিজের হাতে ঘন বনাঞ্চলে শহর ও খামার গড়ে তুলত, দারিদ্র্য ও আদিবাসী আক্রমণের মুখোমুখি হয়ে।
প্রত্যেকটি উপনিবেশ স্থানীয় ধর্মবিশ্বাস ও সামর্থ্য অনুযায়ী শিক্ষাদান ও বিনোদনের নিজস্ব ক্ষেত্র গড়ে তোলে। দক্ষিণাঞ্চলের সংস্কৃতিতে সংগীতনাট্যে আগ্রহ দেখা যায়, যার কেন্দ্র ছিল চার্লসটন, সাউথ ক্যারোলিনা এবং উইলিয়ামসবার্গ, ভার্জিনিয়া। ১৭৫০ সালে নিউ ইয়র্ক সিটিতে শেক্সপিয়ারের "রিচার্ড থার্ড" নাটকের একটি পেশাদার পরিবেশনা হয়, যা ছিল আমেরিকায় শেক্সপিয়ারের প্রথম পেশাদার নাট্য পরিবেশনা। প্রচারক, বক্তা ও গায়করা উপনিবেশবাসীদের বিনোদন দিতেন।
তাদের মধ্যে পার্থক্যের চেয়ে মিলই ছিল বেশি। তিনটি অঞ্চলেই জনসংখ্যা প্রধানত ব্রিটিশ দ্বীপপুঞ্জ থেকে আগত। প্রত্যেকটির সড়কব্যবস্থা ছিল অত্যন্ত খারাপ, এবং আটলান্টিক মহাসাগরের মাধ্যমে তারা পরিবহণের সংযোগ রাখত। এরা সবাই আটলান্টিক অর্থনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিল। আটলান্টিক অঞ্চলের বণিকেরা জাহাজে করে আমেরিকা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ইউরোপ এবং আফ্রিকার মধ্যে দাস, তামাক, রাম, চিনি, সোনা, রূপা, মসলা, মাছ, কাঠ এবং প্রস্তুত পণ্য আদান-প্রদান করত।<ref>{{cite book|title=Cod: A Biography of the Fish That Changed the World|last=Kurlansky|first=Mark|publisher=New York: Walker|isbn=0-8027-1326-2}}</ref> নিউ ইয়র্ক, ফিলাডেলফিয়া, বোস্টন ও চার্লসটন ছিল সে সময়ের বৃহত্তম শহর এবং প্রধান বন্দর।<ref>{{cite web| url= http://www.census.gov/population/www/documentation/twps0027/tab02.txt| title= Earliest Population Figures for American Cities | author= U.S. Census Bureau|accessdate=2010-08-29}}</ref>
== প্রাথমিক প্রযুক্তি ==
প্রথম দফার উপনিবেশকারীরা খেটে খাওয়া শ্রমের মাধ্যমে তাদের খামার চাষ করতেন এবং কুমারশিল্প ও চামড়া ট্যানিংয়ের মতো ভূমিভিত্তিক হস্তশিল্প গড়ে তুলেছিলেন। পরবর্তী সময়ে জাহাজে করে গরু ও ঘোড়া আনা হলে খসড়া প্রাণী অর্থনীতির অংশ হয়ে ওঠে। চুক্তিভিত্তিক শ্রমিক এবং পরে আফ্রিকা থেকে অপহৃত দাসদের আমদানি করা হয়। তখনই বৃহৎ আকারের কারখানা স্থাপিত হতে শুরু করে। অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষভাগে ছোট পরিসরে যন্ত্রনির্ভর উৎপাদনশিল্প দেখা দেয়। লোকজন কয়লা ও লৌহ আকরিক খনন শুরু করে। নিউ ইংল্যান্ড ওই আকরিক ব্যবহার করে নির্মাণ সরঞ্জাম ও ঘোড়ার নাল তৈরি করতে শুরু করে। দক্ষিণের তুলার ওপর নির্ভরশীল একটি নতুন বস্ত্রশিল্প গড়ে ওঠে। কাঠ বা কয়লা দ্বারা চালিত এবং শক্তিশালী ধাতুর চাহিদায় পরিচালিত গৃহস্থালির ধাতুকর্মে লোহা গলানোর নতুন কৌশল উদ্ভাবিত হয়। লোহার কাজ করা কারিগর ও টিনশিল্পীরা বড় বসতিগুলোর অংশ হয়ে ওঠে। উপনিবেশগুলো যান্ত্রিক ঘড়ি, আগ্নেয়াস্ত্র এবং ছাপাখানার জন্য সীসা টাইপ তৈরি করতে শুরু করে।
<gallery mode="packed" heights="150px">
File:The Francis Skerry Beaker, Jeremiah Dummer, American, c. 1670, silver - Fogg Art Museum, Harvard University - DSC01384.jpg|১৬৭০ সালের কাছাকাছি সময়ে আমেরিকায় জন্মগ্রহণকারী প্রথম রূপকার [[w:Jeremiah Dummer (silversmith)|জেরেমায়া ডামার]] নির্মিত একটি রূপার বীকার।
File:First Slave Auction 1655 Howard Pyle.jpg|১৬৫৫ সালে নিউ আমস্টারডামে অনুষ্ঠিত প্রথম দাস নিলামের চিত্র। (১৮৯৫ সালের চিত্রাঙ্কন)
File:WestFrontMansionMountVernon.jpg|মাউন্ট ভারন প্ল্যান্টেশন, নির্মিত ১৭৫৮ সালে। যখন জর্জ ওয়াশিংটন ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেন, তখনও তিনি তার নিজের দাসদের ধরে রেখেছিলেন, যারা নিজেরাও স্বাধীনতার অভাবে অসন্তুষ্ট ছিলেন।<ref>{{cite web |title=Resistance and Punishment |url=https://www.mountvernon.org/george-washington/slavery/resistance-and-punishment/ |website=George Washington's Mount Vernon |accessdate=19 September 2020 |language=en}}</ref>
File:Parkman Tavern, Concord MA.jpg|[[w:Parkman Tavern|পার্কম্যান ট্যাভার্ন]], ম্যাসাচুসেটসের কনকর্ডের ১৬৫৯ সালে নির্মিত।
</gallery>
== বাণিজ্যনৈতিক মতবাদ, সহনশীল অবহেলা ও ব্রিটিশ হস্তক্ষেপ ==
আমেরিকান উপনিবেশগুলো যারা সমুদ্র দিয়ে বিচ্ছিন্ন একেবারে নতুন সমাজ ছিল, তারা বিশ্বাস করত যে তাদের নিজেদের শাসনের অধিকার রয়েছে। এই বিশ্বাসকে উৎসাহিত করেছিল ব্রিটেনের গৌরবময় বিপ্লব এবং ১৬৮৯ সালের অধিকার আইন, যা পার্লামেন্টকে সর্বোচ্চ শাসনক্ষমতা দেয়। '''সহনশীল অবহেলার''' নামে পরিচিত অপেক্ষাকৃত শিথিল নিয়ন্ত্রণের এই নীতির অবসান ঘটে ব্রিটিশ নিয়ন্ত্রণ বৃদ্ধি পাওয়ার মাধ্যমে, যা বাণিজ্যনৈতিক মতবাদের প্রভাবে এবং লর্ডস অফ ট্রেড ও পরবর্তী পরিভ্রমণ আইনগুলোর মাধ্যমে প্রতিফলিত হয়।
=== বাণিজ্যনৈতিক মতবাদ ===
পার্লামেন্ট '''বাণিজ্যনৈতিক মতবাদ''' নামক অর্থনৈতিক নীতির অনুসরণে উপনিবেশগুলোর বাণিজ্যের ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করে। এই মতবাদের মূল ধারণা ছিল—একটি জাতির অর্থনৈতিক শক্তি নির্ভর করে তার রপ্তানি পণ্যের মূল্যের ওপর। একটি দেশ তার উপনিবেশগুলোর মাধ্যমে কাঁচামালের পরিবর্তে প্রস্তুত পণ্য উৎপাদন করতে পারে। এই পণ্যগুলো অন্যান্য দেশের সঙ্গে বিনিময় করে উপনিবেশকারী দেশের শক্তি বাড়ানো সম্ভব। এই নীতির প্রবর্তক ছিলেন ফরাসি অর্থনীতিবিদ জঁ-বাতিস্ত কোলবে। এটি ব্রিটেনের জন্য অত্যন্ত উপযোগী মনে করা হয়। স্পেনের অর্থনৈতিক ভিত্তি ছিল আমেরিকান সোনা, আর ফ্রান্সের ছিল আমেরিকান পশম। ইংল্যান্ডের কাছে সোনা বা পশম ছিল না, তবে তাদের ছিল আমেরিকান তুলা, মলাসেস (আখের গুড়), তামাক, এবং উন্নত মানের জাহাজ। ১৭০০ শতকের মধ্যভাগ পর্যন্ত উপনিবেশগুলো "সহনশীল অবহেলা"-এর দীর্ঘ সময় উপভোগ করেছিল, যেখানে ব্রিটিশরা প্রায়ই উপনিবেশগুলিকে নিজেদের মতো করে পরিচালনা করতে দিত। পরে সেই সময় শেষ হয়।
=== লর্ডস অফ ট্রেড ===
বাণিজ্যনৈতিক নীতিগুলো কার্যকর করার প্রয়াসে রাজা দ্বিতীয় চার্লস প্রিভি কাউন্সিলের একটি নতুন কমিটি হিসেবে '''লর্ডস অফ ট্রেড''' গঠন করেন। এই লর্ডরা উপনিবেশগুলোর শাসন ইংরেজদের পক্ষে উপযোগী করার চেষ্টা করেন, যা উপনিবেশবাসীদের পক্ষে অনুকূল ছিল না।
লর্ডস অফ ট্রেড চেয়েছিল সমস্ত আমেরিকান উপনিবেশকে রাজকীয় উপনিবেশে রূপান্তর করতে, যাতে ক্রাউনের শক্তি বাড়ানো যায়। রাজা দ্বিতীয় জেমসের শাসনকালে (দ্বিতীয় চার্লসের উত্তরসূরি) নিউ ইয়র্ক, নিউ জার্সি এবং পুরিটান উপনিবেশগুলোকে একত্র করে ১৬৮৭ সালে “নিউ ইংল্যান্ড অধিরাজ্য” গঠন করা হয়।
তবে এই অধিরাজ্য অল্পদিন টিকে ছিল। দ্বিতীয় জেমস ছিলেন ক্যাথলিক, আর ব্রিটিশ প্রোটেস্টান্টরা তাকে হুমকি মনে করত। গৌরবময় বিপ্লবে (১৬৮৮) তাকে সিংহাসনচ্যুত করা হয় (পার্লামেন্ট তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে সিংহাসন ত্যাগ করানো হয়েছে বলে ধরে নেয়)। ১৬৮৯ সালে জেমসের কন্যা দ্বিতীয় মেরি ও তার স্বামী তৃতীয় উইলিয়াম যুগ্মভাবে সিংহাসনে বসেন। তবে প্রকৃত ক্ষমতা ছিল ব্রিটিশ পার্লামেন্টের হাতে। নিউ ইংল্যান্ড অধিরাজ্য বিলুপ্ত হয়, পৃথক উপনিবেশগুলো পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয় এবং লর্ডস অফ ট্রেড বিলুপ্ত হয় (এর পরিবর্তে কেবল উপদেষ্টা ভিত্তিক একটি বোর্ড অফ ট্রেড গঠিত হয়)।
=== পরিভ্রমণ আইনসমূহ ===
১৬৬০ সাল থেকে ইংল্যান্ডের পার্লামেন্ট '''পরিভ্রমণ আইনসমূহ''' প্রণয়ন করতে থাকে, যাতে তারা তাদের উপনিবেশ থেকে বেশি লাভ তুলতে পারে। এসব আইনের অধীনে নির্ধারিত হয় যে যেকোনো উপনিবেশিক আমদানি-রপ্তানি কেবলমাত্র ইংল্যান্ডে নিবন্ধিত জাহাজে পরিবাহিত হতে পারবে—মানে শুধুমাত্র ইংল্যান্ডই জাহাজ চলাচলের ক্ষমতা ও এর থেকে আসা মুনাফা ভোগ করবে। তামাক ও চিনি রপ্তানি শুধুমাত্র ইংল্যান্ডে করা যাবে, অন্য কোনো দেশে নয়। (তখন তামাক ও চিনি দুটোই ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হতো—চিনির দ্বারা অ্যালকোহল তৈরি করা হতো যা ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হতো)। এবং উপনিবেশগুলো কোনো বিদেশি নির্মিত পণ্য আমদানি করতে পারত না, যদি না সেগুলো প্রথমে ইংল্যান্ডে নিয়ে যাওয়া হতো, সেখানে শুল্ক পরিশোধ করা হতো, তারপর সেগুলো উপনিবেশে পাঠানো হতো।
১৭৩০-এর দশকে চিনি আইন অনুযায়ী উপনিবেশগুলোতে আমদানি হওয়া প্রতি গ্যালন চিনি বা মলাসেসের ওপর ছয় পেন্স কর আরোপ করা হয়। ১৭৫০ সালের মধ্যে পার্লামেন্ট আরও অনেক পণ্যের ওপর নিষেধাজ্ঞা, নিয়ন্ত্রণ বা কর আরোপ করতে শুরু করে। তারা উপনিবেশে সমস্ত ধরনের উৎপাদন ঠেকাতে চায়। এই নীতিগুলো উপনিবেশবাসীদের মধ্যে প্রবল ক্ষোভ সৃষ্টি করে, যদিও ইউরোপের অন্যান্য রাজতন্ত্রের প্রজাদের তুলনায় তাদের করভার তুলনামূলকভাবে কম ছিল।
উপনিবেশবাসীরা পরিভ্রমণ আইনগুলোকে ঘৃণা করত, কারণ তারা বিশ্বাস করত যে নিজেরা বাণিজ্য করতে পারলে আরও সমৃদ্ধ ও ধনী হতে পারবে। তারা আরও বিশ্বাস করত যে কিছু গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ ইংল্যান্ডে পাওয়া যায় না।
== ১৭০০-এর দশকে আদিবাসী ==
গ্রেট প্লেইন্সের আদিবাসী:
আজকের দিনে যেই অঞ্চল জুড়ে গ্রেট প্লেইন্সের সমস্ত আদিবাসীরা বাস করত, তা রকি পর্বতমালা থেকে মিসিসিপি নদী পর্যন্ত বিস্তৃত। ১৭০০-এর দশকে প্রায় ৩০টি গোত্র এই গ্রেট প্লেইন্স অঞ্চলে বসবাস করত। এই গোত্রগুলো মূলত খাদ্য এবং দৈনন্দিন অন্যান্য প্রয়োজনীয়তার জন্য মহিষের ওপর নির্ভর করত। আদিবাসীরা—বিশেষ করে নারীরা—তাদের পোশাক মহিষের চামড়া দিয়ে তৈরি করত, তবে তারা হরিণের চামড়াও ব্যবহার করতেন। নারীরা মৃত হরিণ বা মহিষের চামড়া জলে ভিজিয়ে রাখত এবং এরপর তার লোম চেঁছে ফেলত।<ref name="englar">Englar, Mary. The Great Plains Indians: Daily Life in the 1700s. Mankato, MN: Capstone, 2006. Print.</ref>
তদ্ব্যতীত, আদিবাসী গোত্রগুলো একে অপরের সঙ্গে বাণিজ্য করত। একজন ব্যক্তির কাছে যত বেশি ঘোড়া থাকত, তাকে তত বেশি ধনী বলে মনে করা হতো; আদিবাসীরা তাদের ঘোড়ার বিনিময়ে খাদ্য, যন্ত্রপাতি, অস্ত্র (যেমন বন্দুক), এবং পশুচর্ম বিনিময় করত। যেহেতু বিভিন্ন গোত্রের ভাষা একে অপরের থেকে ভিন্ন ছিল, তাই তারা পারস্পরিক বাণিজ্যের সময় সাঙ্কেতিক ভাষা ব্যবহার করত।<ref name="englar" />
== ফিলাডেলফিয়া নির্বাচনী দাঙ্গা ==
১৭৪২ সালে নির্বাচনের দিনে ফিলাডেলফিয়ায় একটি দাঙ্গা শুরু হয়, যার কারণ ছিল অ্যাঙ্গলিকান জনগণের কোয়াকার সংখ্যাগোষ্ঠীর সঙ্গে মতবিরোধ। এই দাঙ্গার মূল কারণ ছিল অ্যাঙ্গলিকান ও কোয়াকার জনগণের মধ্যে ক্ষমতার দ্বন্দ্ব। কোয়াকাররা ফিলাডেলফিয়ায় দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক আধিপত্য বজায় রেখেছিল। জার্মান জনগণ কোয়াকারদের ভোটকে সমর্থন করেছিল, কারণ কোয়াকার অহিংস নীতির ফলে কর বাড়ার সম্ভাবনা এবং শেষ পর্যন্ত বাধ্যতামূলক সৈন্যভর্তির আশঙ্কা কমে যেত। নির্বাচনের দিনে অ্যাঙ্গলিকান ও নাবিকেরা কোয়াকার এবং জার্মানদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। কোয়াকাররা কোর্টহাউসে আশ্রয় নিতে সক্ষম হয় এবং নির্বাচন সম্পন্ন করে। অ্যাঙ্গলিকান দল নির্বাচনে পরাজিত হয় এবং দাঙ্গার পর ৫৪ জন নাবিককে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়।
== শিক্ষা ==
১৭০০-এর দশকে উপনিবেশগুলোর তিনটি অঞ্চল ভিন্ন ভিন্ন আগ্রহসম্পন্ন জনগোষ্ঠী নিয়ে গঠিত ছিল, ফলে তারা তাদের শিশুদের জন্য ভিন্নধর্মী শিক্ষা প্রদান করত। যদিও কিছু সাধারণ বৈশিষ্ট্য ছিল — তিন অঞ্চলের যে কোনো ধনী পরিবার তাদের পুত্রকে ইউরোপে পড়তে পাঠাতে পারত — তবুও বিভিন্ন উপনিবেশে শিক্ষাদানের ধরণে পার্থক্য দেখা যেত।
নিউ ইংল্যান্ডে শিক্ষার উদ্দেশ্য ছিল সামাজিক ও ধর্মীয় উভয়ই। একজন সুশীল নাগরিককে অবশ্যই বাইবেল জানতে হতো। ১৬৪৭ সালের ম্যাসাচুসেটস জেনারেল স্কুল আইন বলেছিল, যদি কোনো অঞ্চলে ৫০টির বেশি পরিবার বসবাস করে, তবে একজন স্কুলশিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে। এই আইনের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছিল: "সেই পুরাতন প্রতারক, শয়তানের অন্যতম প্রধান কৌশল হলো মানুষকে বাইবেলের জ্ঞান থেকে দূরে রাখা, যেমন পূর্বকালে অজানা ভাষায় বাইবেল রেখে আর বর্তমানে ভাষা ব্যবহারে নিরুৎসাহিত করে; যাতে মূল বক্তব্য বিভিন্ন মিথ্যা ব্যাখ্যা ও সান্ত-সদৃশ প্রতারকদের দ্বারা বিকৃত হয়; এবং যেন শিক্ষা আমাদের পূর্বপুরুষদের কবরে চাপা না পড়ে, গির্জা ও রাষ্ট্রে তা টিকে থাকে, প্রভুর সহায়তায় আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।" এটি ছিল পিলগ্রিমদের নীতিমালা, যা তারা স্বৈরাচারীদের চাপিয়ে দেওয়া অজ্ঞতার বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠা করেছিল। ছেলে ও মেয়েরা প্রায়শই তাদের বাবা-মায়ের কাছেই বাইবেল পড়তে শিখত, সম্ভবত একটি "হর্নবুক" ব্যবহার করে — এক ধরণের বর্ণমালা ও শব্দতালিকা পাতা, যেটি শিং দিয়ে মোড়ানো থাকত।
শুধু বাইবেল পড়তে পারলেই চলবে না, একজন খ্রিস্টানকে অবশ্যই তার সমাজে শাসন করতে পারতে হবে। (''তার'' সমাজে: কারণ সরকার পরিচালনা ছিল ধার্মিক, সম্পত্তিধারী পুরুষদের অধিকার, নারীদের নয়।) এই উদ্দেশ্যে তরুণদের ক্লাসিক্যাল শিক্ষা — মূলত লাতিনভিত্তিক — অর্জন করতে হতো। ১৬৪৭ সালের আইন ছিল আমেরিকান গ্রামার স্কুলের সূচনা, যা শুরুতে লাতিন পড়াত, পরে এতে নেভিগেশন, প্রকৌশল, হিসাবরক্ষণ, ও বিদেশি ভাষার মতো ব্যবহারিক বিষয় যুক্ত হয়।<ref>A People and a Nation, Eighth Edition</ref> উপনিবেশিক যুগে খোলা বেশিরভাগ স্কুল ছিল ব্যক্তিমালিকানাধীন।<ref>http://www.excite.com/education/education/history-of-american-education</ref> তবে এর আগে ছিল প্রথম সরকার-সমর্থিত বিদ্যালয়, ১৬৩৫ সালে প্রতিষ্ঠিত বোস্টন লাতিন স্কুল। এর পাঠ্যক্রম ছিল কঠোর, ফলে ছাত্রসংখ্যা ছিল কম। হার্ভার্ড ছিল আমেরিকার প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়, ১৬৩৬ সালে প্রতিষ্ঠিত, মূলত প্রোটেস্টান্ট ধর্মযাজকদের প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্যে। ক্লাসিক্যাল পাঠ্যক্রম থেকে স্নাতকের সংখ্যা খুবই কম ছিল, ফলে উপস্থিতিও ছিল কম। কেউ কেউ সরাসরি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতো, কেউ ১৪ বা ১৫ বছর বয়সেই হার্ভার্ডে ঢুকত। কটন ম্যাথার ১৫ বছর বয়সে হার্ভার্ড থেকে স্নাতক হয়েছিলেন, যা ছিল তার অস্বাভাবিক প্রতিভার কারণে ব্যতিক্রম। ব্যক্তিগত স্কুলে ছেলে ও মেয়েরা হাতের লেখা, মৌলিক গণিত, ইংরেজি পড়া ও লেখা শিখত। এরপর তারা বিভিন্ন পেশায় শিক্ষানবিশ হিসেবে প্রবেশ করত। যারা গৃহপরিচারিকা হতো না, তারা গৃহস্থালি কাজের জন্য প্রশিক্ষিত হতো — সূচিশিল্প, রান্না, এবং কয়েকদিন ধরে কাপড় ধোয়ার মতো কাজ শেখানো হতো।
নিউ ইংল্যান্ডের মতো, মধ্য উপনিবেশগুলোতেও বেসরকারি স্কুল ছিল, যেখানে পড়া ও লেখা শেখানো হতো। তবে মৌলিক শিক্ষা সেখানে আরও দুর্লভ ছিল। পশ্চিমে যত দূরে কেউ বাস করত, স্কুলে যাওয়া কিংবা পড়তে ও লিখতে শেখার সম্ভাবনা ততই কম হতো। জাতিগত ও ধর্মীয় উপগোষ্ঠীগুলো নিজেদের শিশুদের জন্য নিজেদের নিয়মে বেসরকারি স্কুল চালাত। কোনো উপনিবেশেই উচ্চশিক্ষা নিশ্চিত ছিল না। মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলো বড় শহর — যেমন বোস্টন, নিউ ইয়র্ক, ফিলাডেলফিয়া ও চার্লসটন — ছাড়া খুবই বিরল ছিল।<ref>A People and a Nation Eighth Edition</ref>
চেসাপিক অঞ্চলের অভিজ্ঞতা ছিল একেবারেই ভিন্ন। শিশুদের পড়তে ও লিখতে পারার পূর্বশর্ত ছিল, তাদের বাবা-মাও যদি তা পারেন।<ref>A People and a Nation Eighth Edition</ref> দক্ষিণে বিপ্লবী যুগ পর্যন্ত খুব কম সংখ্যক স্কুল ছিল, যেকোনো ধরণেরই হোক না কেন। ধনী পরিবারের শিশুরা ব্যক্তিগত শিক্ষকের অধীনে পড়াশোনা করত। ধনী মেয়েরা 'নারীসুলভ শিল্পকলায়' শিক্ষিত হতো, তবে তাদের পাঠ্যক্রম ভাইদের মতো হতো না। মার্থা ওয়াশিংটনের নাতনি এলিজা কাস্টিস তার সৎপিতার বিদ্রূপের কথা বলেছিলেন, যখন তিনি বলেছিলেন "[আমার] দুঃখ লেগেছিল, তারা আমাকে গ্রিক ও লাতিন শেখাতে চায়নি, কারণ আমি মেয়ে — তারা হাসল এবং বলল, মেয়েদের এসব জানার দরকার নেই, সেলাই, লেখা, অঙ্ক এবং সংগীতই যথেষ্ট।"<ref>Edmund S. Morgan. Virginians At Home: Family Life in the Eighteenth Century. Charlottesville, VA: Dominion Books, 1962(1952). P. 17</ref> মধ্যবিত্ত শিশুরা বাবা-মায়ের কাছেই পড়া শিখত, আর গরিব শিশুদের অনেকেই, বিশেষ করে কৃষ্ণাঙ্গ শিশুরা, কোনো শিক্ষাই পেত না। দক্ষিণে স্বাক্ষরতার হার উত্তরাঞ্চলের তুলনায় কম ছিল, যা উনবিংশ শতাব্দী পর্যন্ত বজায় ছিল।<ref>A People and a Nation, Eighth Edition</ref>
[[File:Harvard Old College.jpg|thumb|১৬৩৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হার্ভার্ড যুক্তরাষ্ট্রের সর্বপ্রথম উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান।]]
১৬৯৩ সালে কলেজ অব উইলিয়াম অ্যান্ড ম্যারি প্রতিষ্ঠিত হয়, যা ছিল ভার্জিনিয়ার প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়। ১৮ শতক গড়িয়ে এলে এটি ধর্মতত্ত্বের বদলে আইনশাস্ত্রে বিশেষীকরণ শুরু করে।<ref>Morgan, p. 27.</ref> ১৭০১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ''Collegiate College''। ১৭১৮ সালে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির ওয়েলশ গভর্নর এলিহু ইয়েলের অনুদানে এর নাম হয় ইয়েল কলেজ। পরে আরও কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় গঠিত হয়, যার মধ্যে ১৭৪৭ সালের প্রিন্সটন অন্যতম। ১৮ শতকে কলেজের পাঠ্যক্রমে জ্যোতির্বিজ্ঞান, পদার্থবিজ্ঞান, আধুনিক ইতিহাস ও রাজনীতি বিষয়গুলো গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। কিছু কলেজ ১৮ শতকে নেটিভ আমেরিকান ছাত্রদের ভর্তি করার চেষ্টা করলেও আফ্রিকান-আমেরিকানদের ভর্তি করা হতো না।<ref>A People and a Nation, Eighth Edition</ref>
১৬৪০ সালে ''The whole Booke of Psalms Faithfully Translated into English Metre'', যা সাধারণভাবে বেই পসাল্ম বুক নামে পরিচিত, ক্যামব্রিজ, ম্যাসাচুসেটসে মুদ্রিত হয়। এটি ছিল নতুন পৃথিবীতে (নর্থ আমেরিকায়) লেখা প্রথম বই। এই বিখ্যাত ও প্রভাবশালী সঙ্গীতবইটির পর নিউ ইংল্যান্ডে একটি পূর্ণাঙ্গ প্রকাশনা শিল্প গড়ে ওঠে। ১৬৮৭ সালের কিছু পর ''New England Primer'' প্রকাশিত হয়, যা শিশুদের পড়া ও বানানের সহায়ক হিসেবে ব্যবহৃত হতো।
একটি বিকল্প শিক্ষাপদ্ধতি দেখা যায় বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিনের প্রতিষ্ঠিত আমেরিকান অ্যাকাডেমিতে, যা ১৭৫১ সালে ফিলাডেলফিয়ায় গঠিত হয়। এই প্রতিষ্ঠানটি আধুনিক আমেরিকান হাই স্কুলের কাছাকাছি একটি মডেল ছিল, যেখানে পেশাগত শিক্ষা দেওয়া হতো। এ ধরণের স্কুল পরে ক্লাসিক্যাল সেকেন্ডারি স্কুলের সংখ্যাকে ছাড়িয়ে যায়। তবে ফ্রাঙ্কলিনের অ্যাকাডেমিও ছিল ব্যক্তিমালিকানাধীন, ফলে এ শিক্ষালাভ সম্ভব ছিল কেবল অর্থবিত্তশালীদের জন্য।
এই সময়কালে উপনিবেশবাসীরা নেটিভ আমেরিকানদের খ্রিস্টধর্মে ধর্মান্তরিত করার চেষ্টা চালায়।<ref>http://www.encyclopedia.com/doc/1G2-2536600517.html</ref>
== পুনঃমূল্যায়ন প্রশ্নাবলী ==
১. নিচের উপনিবেশগুলোর মধ্যে একটি নির্বাচন করুন: নিউ ইয়র্ক, ভার্জিনিয়া, ম্যাসাচুসেটস, জর্জিয়া। এটি উপনিবেশের কোন তিনটি অঞ্চলের মধ্যে অবস্থিত? কেন এবং কীভাবে এটি শুরুতে উপনিবেশিকৃত হয়েছিল? এর অভিবাসী ও তাদের অনুসৃত ধর্ম কিভাবে ওই অঞ্চলের ওপর প্রভাব ফেলেছিল?
২. ব্রিটিশরা কেন উপনিবেশগুলোর সঙ্গে হস্তক্ষেপ করেছিল?
==উৎসসমূহ==
{{reflist}} {{chapnav|Exploration|Road to Revolution}} {{status|100%}} {{BookCat}}
3h56zso12vuu85tkpmty5s3d65nsntj
84823
84822
2025-06-18T10:11:01Z
Mehedi Abedin
7113
84823
wikitext
text/x-wiki
== উপনিবেশ স্থাপনের ধরণ ==
রেনেসাঁ যুগে গ্রেট ব্রিটেনের দ্বীপগুলোতে ব্যাপক পরিবর্তন আসে, যার ফলে ইংল্যান্ডের চার্চ প্রতিষ্ঠিত হয়, ব্রিটিশ গৃহযুদ্ধ সংঘটিত হয় এবং অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও আইনগত ব্যবস্থার সম্পূর্ণ রূপান্তর ঘটে। তবুও এই সময়কালে, অন্যান্য জাতি এবং আমেরিকার নিজস্ব আদিবাসীদের চাপ সত্ত্বেও, ইংরেজদের একটি বৈচিত্র্যময় উপনিবেশ গড়ে ওঠে এবং সফল হয়।
এই নতুন উপনিবেশগুলো তিনটি ভিন্ন উপায়ে অর্থায়িত হয়েছিল। একটি পদ্ধতিতে, '''কর্পোরেট উপনিবেশ''' যৌথ স্টক কোম্পানির মাধ্যমে স্থাপিত হতো। যৌথ স্টক কোম্পানি এমন একটি প্রকল্প যেখানে লোকেরা একটি নতুন উপনিবেশ গড়ে তুলতে শেয়ার কিনে বিনিয়োগ করত। উপনিবেশটির সফলতার ওপর ভিত্তি করে, প্রতিটি বিনিয়োগকারী তার ক্রয়কৃত শেয়ারের অনুপাতে লাভ পেত। এই বিনিয়োগ সম্পূর্ণভাবে নিজে উপনিবেশ শুরু করার চেয়ে কম ঝুঁকিপূর্ণ ছিল এবং প্রতিটি বিনিয়োগকারী উপনিবেশ পরিচালনায় প্রভাব ফেলতে পারত। তারা প্রায়ই নিজেদের জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করত। (অন্য মহাদেশে একটি যৌথ স্টক কোম্পানির উদাহরণ হলো ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি)। ভার্জিনিয়ায় এইভাবে বসতি স্থাপন করা হয়েছিল।
'''প্রোপ্রাইটারি উপনিবেশ''' ছিল কোনো ব্যক্তি বা পরিবারের মালিকানাধীন, যারা তাদের ইচ্ছামতো আইন প্রণয়ন ও কর্মকর্তাদের নিয়োগ করত। এই মালিকানার কারণেই উন্নয়ন সরাসরি সংঘটিত হতো। চার্লস দ্বিতীয় উইলিয়াম পেনকে বর্তমান পেনসিলভেনিয়া অঞ্চলটি প্রদান করেন। পেনের নতুন উপনিবেশ কোয়াকারদের আশ্রয় দেয়, যারা ছিল সহস্রাব্দবাদী প্রোটেস্ট্যান্টদের একটি দল হিসেবে ইংল্যান্ডের চার্চের বিরোধিতা করত। (কোয়াকারদের মন্ত্রী থাকত না এবং তারা ধর্মীয় বা নাগরিক বৈষম্যকে মানত না, যা তাদের শ্রেণিভিত্তিক সমাজে বিপজ্জনক উপাদান করে তুলেছিল)। পেন ছিলেন একজন স্পষ্টবাদী কোয়াকার এবং তিনি কোয়াকার বিশ্বাস রক্ষায় অনেক প্রচারপত্র লিখেছিলেন। তিনি অন্যান্য দেশ ও প্রোটেস্ট্যান্ট সংখ্যালঘুদের—এমনকি কিছু ক্যাথলিককেও—উপনিবেশে আসতে আমন্ত্রণ জানান।
সবশেষে, '''রাজকীয় উপনিবেশ''' ছিল রাজা কর্তৃক সরাসরি নিয়ন্ত্রিত এবং সেখানে রাজার নিযুক্ত রাজ্যপাল থাকত। তবে রেজাল্টিং সেটেলমেন্ট বা গঠিত উপনিবেশগুলো সবসময় ইংল্যান্ডের অনুরূপ ছিল না। উদাহরণস্বরূপ, অষ্টম হেনরির শাসনকালে ইংল্যান্ড ক্যাথলিক ধর্ম থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছিল এবং পুরাতন বিশ্বাসকে শুধু ধর্মীয় ভ্রান্তি নয়, বরং বিদেশি আধিপত্যের পূর্বাভাস হিসেবে দেখা হতো। তবুও, মেরিল্যান্ডে ক্যাথলিকদের প্রতি সহনশীলতা ব্রিটিশ মুকুটের পক্ষ থেকে একটি অনুগ্রহ হিসেবে দেওয়া হয়েছিল। ১৬৩৪ সালে লর্ড বাল্টিমোর ইংল্যান্ডের জর্জ ক্যালভার্টকে ভার্জিনিয়ার উত্তরে ও পেনসিলভেনিয়ার দক্ষিণে একটি সরু ভূমি অঞ্চলে একটি ক্যাথলিক উপনিবেশ স্থাপন করার জন্য নিয়োগ দেন রাজকীয় সনদের মাধ্যমে। পনেরো বছর পরে, ১৬৪৯ সালে, তিনি সহনশীলতা আইনে স্বাক্ষর করেন, যা উপনিবেশবাসীদের জন্য ধর্মীয় স্বাধীনতা ঘোষণা করে। মূল সনদ সত্ত্বেও পরে প্রোটেস্ট্যান্টরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ ধর্মে পরিণত হয়। লর্ড বাল্টিমোরের মৃত্যুর কয়েক বছর পর, মেরিল্যান্ডের একজন বিশিষ্ট জমিদারের স্ত্রী মার্গারেট ব্রেন্ট উপনিবেশের গভর্নর হিসেবে তার উইল কার্যকর করেন। তিনি উপনিবেশগুলোতে লিঙ্গভিত্তিক সামাজিক নিয়ম ভেঙে দেন, কারণ তিনি ছিলেন ইংরেজ উপনিবেশে প্রথম অ-রাজপরিবারভুক্ত নারী শাসক।
== ম্যাসাচুসেটস বে উপনিবেশ ==
''ম্যাসাচুসেটস বে উপনিবেশ'' আরেকটি কর্পোরেট উপনিবেশ, যা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ইংল্যান্ড থেকে দূরে এমন একটি জায়গা হিসেবে, যেখানে ধর্মীয় ভিন্নমতাবলম্বীরা বসবাস করতে পারতো। পিউরিটানরা ছিল কট্টর প্রোটেস্টান্টদের একটি দল, যারা বাইবেলের মূল ধর্মে ফিরে যাওয়ার দাবি করত। তারা ইংল্যান্ডের রাষ্ট্রীয় চার্চের বিরোধিতা করায় নির্যাতনের শিকার হয় এবং অনেকেই প্রাণ হারায়। ১৬২০ সালে, ৪১ জন পিউরিটান (যারা নিজেদের "তীর্থযাত্রী" বা পিলগ্রিমস বলত) নতুন পৃথিবীর উদ্দেশ্যে যাত্রা করে।
পিলগ্রিমদের সমসাময়িক বিবরণ অনুযায়ী, তাদের মূল পরিকল্পনা ছিল বর্তমানে নিউ ইয়র্কের লং আইল্যান্ডের নিকটে হাডসন নদীর অঞ্চলে উপনিবেশ স্থাপন। কেপ কড দর্শনের পর তারা দক্ষিণ দিকে হাডসন নদীর দিকে যেতে চাইলেও, বিপজ্জনক সমুদ্রের সম্মুখীন হয়ে প্রায় জাহাজডুবির শিকার হয়। ফলে তারা আরেকবার দক্ষিণে যাওয়ার ঝুঁকি না নিয়ে কেপ কডেই ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নেয়। কয়েক সপ্তাহ ধরে উপযুক্ত উপনিবেশ স্থাপনের স্থান খোঁজার পর, মেফ্লাওয়ার জাহাজের যাত্রীরা অবশেষে বর্তমান ম্যাসাচুসেটসে ১৬২০ সালের ২৬ ডিসেম্বর প্লাইমাউথ-এ নোঙর করে। তখনকার সেখানে বসবাসকারী একটি আদিবাসী গোত্রের নামানুসারে তারা এটি "ম্যাসাচুসেটস" নামে অভিহিত করে।
[[File:The Mayflower Compact 1620 cph.3g07155.jpg|thumb|মেফ্লাওয়ারের যাত্রীরা "মেফ্লাওয়ার কম্প্যাক্ট"-এ স্বাক্ষর করছে]]
জন কারভারের মৃত্যুর পর গভর্নর দ্বারা নির্বাচিত উইলিয়াম ব্র্যাডফোর্ড একটি জার্নাল লেখেন, যা উপনিবেশবাসীদের দুঃখ-কষ্ট, আদিবাসীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ এবং পরবর্তীতে উপনিবেশের সাফল্য বোঝার জন্য গুরুত্বপূর্ণ দলিল হিসেবে বিবেচিত। পিলগ্রিমরা নিজেদের শাসনের জন্য মেফ্লাওয়ার কম্প্যাক্ট নামক এক চুক্তির মাধ্যমে একমত হয়, যা মেফ্লাওয়ার জাহাজেই স্বাক্ষরিত হয়। দুই বছর পর, তারা কমপ্যাক্টের অধীনে শুরু করা যৌথ মালিকানাভিত্তিক ব্যবস্থাকে ত্যাগ করে এবং ১৬২৩ সালে প্রতিটি পরিবারকে স্বতন্ত্র জমি ভাগ করে দেয়।
দশ বছর পরে, যৌথ স্টকভিত্তিক ম্যাসাচুসেটস বে কোম্পানি ইংল্যান্ডের রাজা চার্লসের কাছ থেকে একটি সনদ লাভ করে। প্লাইমাউথ উপনিবেশ পরে ম্যাসাচুসেটস বে উপনিবেশের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায়, তবে ১৬৯১ সাল পর্যন্ত এটি আলাদা অবস্থায় ছিল।
পরবর্তীতে, আরও বড় একটি পিলগ্রিম দল নতুন ম্যাসাচুসেটস বে উপনিবেশে অভিবাসন করে। যদিও এটি ইংল্যান্ডের রাষ্ট্রীয় চার্চের অনুসারী ছিল, উপনিবেশটি ধর্মীয় স্বাধীনতা দেয়নি। শুধুমাত্র (পুরুষ) পিউরিটানদের ভোটাধিকার ছিল, সহনশীলতা আইনের মাধ্যমে উপনিবেশে পিউরিটান ধর্মকে সরকারি ধর্ম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা হয় এবং যারা তাদের গির্জায় যেত না, তাদের শাস্তি দেওয়া হতো।
== নিউ ইয়র্ক ==
অন্যান্য দেশসমূহও অনুসন্ধান তহবিল জোগাতে যৌথ-স্টক কোম্পানি ব্যবহার করেছিল। ১৬০৯ সালে ডাচ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি উত্তর আমেরিকার পূর্ব উপকূলে ৩৮ থেকে ৪৫ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ পর্যন্ত বিস্তৃত একটি ভূখণ্ড আবিষ্কার করে। এটি ছিল হালভ মিন ("হাফ মুন") নামক একটি ইয়টের অভিযান, যার নেতৃত্বে ছিলেন হেনরি হাডসন। আদ্রিয়ান ব্লক এবং হেনড্রিক ক্রিস্টিয়ানস্ ১৬১১ থেকে ১৬১৪ সাল পর্যন্ত ঐ অঞ্চলের অনুসন্ধান চালান। ১৬১৪ সালের মার্চ মাসে নেদারল্যান্ডসের শাসন সংস্থা রাজ্য জেনারেল নতুন পৃথিবীতে বাণিজ্যের জন্য একচেটিয়া পেটেন্ট ঘোষণা করে। রাজ্য জেনারেল নিউ নেদারল্যান্ড উন্নয়নের জন্য একটি ব্যক্তিগত বাণিজ্যিক উদ্যোগ হিসেবে পেটেন্ট ইস্যু করে। নদীপথের সুরক্ষা এবং আদিবাসীদের সাথে বাণিজ্যের জন্য বর্তমানে আলবানি এলাকায় দ্রুত ফোর্ট ন্যাসাও নির্মাণ করা হয়। ১৬২৪ সালে নিউ নেদারল্যান্ড ডাচ প্রজাতন্ত্রের একটি প্রদেশে পরিণত হয়। পরবর্তীতে ইংরেজরা কেপ কডের উত্তরে অনুপ্রবেশ করায় উত্তর সীমা ৪২ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশে নামিয়ে আনা হয়।
ল অফ নেশনস অনুযায়ী, কোনো অঞ্চলের দাবি প্রতিষ্ঠা করতে হলে শুধু আবিষ্কার ও মানচিত্র তৈরিই নয়, বসতি স্থাপনও প্রয়োজন ছিল। ১৬২৪ সালের মে মাসে ডাচরা ৩০টি পরিবারকে নটেন এইলান্তে (বর্তমান গভর্নরস আইল্যান্ড) অবতরণ করিয়ে তাদের দাবি পূর্ণতা দেয়।
পরবর্তী কয়েক দশকে অদক্ষ ডিরেক্টর-জেনারেলদের দ্বারা নিউ নেদারল্যান্ড পরিচালিত হয়। উপনিবেশবাসীরা আদিবাসীদের আক্রমণের শিকার হন এবং ব্রিটিশ ও ডাচ সংঘাত উপনিবেশ ধ্বংসের পথে ঠেলে দেয়। কিন্তু ১৬৪৭ সালে পিটার স্টাইভসান্ট ডিরেক্টর-জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর সবকিছু বদলে যায়। উপনিবেশে এসে তিনি বলেছিলেন, “আমি তোমাদেরকে এক পিতার মতো শাসন করব।” তিনি উপনিবেশের সীমানা সম্প্রসারণ করেন। ১৬৫৫ সালে তিনি উত্তর ইউরোপের একমাত্র বসতি নিউ সুইডেন জয় করেন। ১৬৫০ সালে নিউ ইংল্যান্ডের সাথে সীমানা বিরোধ নিষ্পত্তি করেন। তিনি আদিবাসীদের হামলার বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা উন্নত করেন, এবং ১৬৪০ সালে যেখানে জনসংখ্যা ছিল ৫০০, তা ১৬৬৪ সালের মধ্যে বেড়ে দাঁড়ায় ৯,০০০-এ। কিন্তু ১৬৬৪ সালের আগস্ট মাসে চারটি ইংরেজ যুদ্ধজাহাজ নিউ ইয়র্ক বন্দরে এসে উপনিবেশ আত্মসমর্পণের দাবি করে। প্রথমে স্টাইভসান্ট প্রতিরোধ করার শপথ করেন, কিন্তু পর্যাপ্ত গোলাবারুদ ও বারুদের অভাবে এবং উপনিবেশবাসীদের দুর্বল সমর্থনে তিনি আত্মসমর্পণে বাধ্য হন। নিউ নেদারল্যান্ড পরবর্তীতে ব্রিটিশ ইয়র্কের ডিউকের সম্মানে "নিউ ইয়র্ক" নামে পরিচিত হয়।
বাণিজ্যে প্রাধান্য অর্জনের উদ্দেশ্যে ইংরেজরা ১৬৬৪ সালে ডাচদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। তারা আমেরিকার আটলান্টিক উপকূলে ডাচ বন্দর নিউ অ্যামস্টারডাম দখল করে। রাজা দ্বিতীয় চার্লসের ভাই জেমস নিউ অ্যামস্টারডাম এবং এর আশেপাশের ডাচ অঞ্চলগুলোর সনদ লাভ করেন।
১৬৭৩ সালে ডাচরা মিচিয়েল ডি রুইটারের নেতৃত্বে সাময়িকভাবে আবার নিউ নেদারল্যান্ড পুনর্দখল করে, এবং এইবার এর নাম দেয় নিউ অরেঞ্জ। কিন্তু তৃতীয় ইঙ্গ-ডাচ যুদ্ধের শেষে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হলে তারা অঞ্চলটি আবার ইংরেজদের কাছে ফিরিয়ে দেয়।
== অন্যান্য প্রারম্ভিক উপনিবেশে উপনিবেশ স্থাপনের ধরণ ==
ক্যারোলিনা অঞ্চলের নামকরণ করা হয়েছিল ব্রিটিশ রাজা প্রথম চার্লসের নামানুসারে, এবং এটি একটি মালিকানাভিত্তিক উপনিবেশ হিসেবে আটজন অভিজাত ব্যক্তিকে প্রদান করা হয়। এই মালিকগণ ক্যারোলিনাকে দুটি পৃথক উপনিবেশে ভাগ করে দেন – ''উত্তর ক্যারোলিনা'' এবং ''দক্ষিণ ক্যারোলিনা''।
চারটি উপনিবেশ ইতিমধ্যেই বিদ্যমান বৃহত্তর ভূখণ্ড থেকে বিভাজনের মাধ্যমে গঠিত হয়েছিল। নিউ হল্যান্ড যখন দখল করে নিউ ইয়র্কে রূপান্তরিত করা হয়, তখন রাজা জেমস ভূখণ্ডের একটি অংশ, বর্তমান ''নিউ জার্সি'', লর্ড বার্কলি ও স্যার জর্জ কার্টারেটকে প্রদান করেন, এবং বর্তমান নিউ ইয়র্ক নিজের জন্য একটি মালিকানাভিত্তিক উপনিবেশ হিসেবে রাখেন। স্যার জর্জ এসেছিলেন জার্সি দ্বীপপুঞ্জ থেকে, এবং সেই অনুযায়ী নতুন উপনিবেশের নাম রাখা হয়। ভূখণ্ডের আরেকটি অংশ হয়ে ওঠে ক্রাউন নিয়ন্ত্রিত উপনিবেশ ''কানেকটিকাট''। এই উপনিবেশের নামকরণ করা হয় সেখানকার আদি ইন্ডিয়ান জনগোষ্ঠীর নামানুসারে। ১৭০৪ সালে পেনসিলভানিয়ার একটি কোণ বিচ্ছিন্ন হয়ে ''ডেলাওয়্যার'' উপনিবেশে পরিণত হয়, যেখানে কোয়াকাররা বসবাস করত না। এর নামকরণ করা হয় টমাস ওয়েস্ট, তৃতীয় ব্যারন ডি লা ওয়্যারের নামে, যিনি ছিলেন রানি এলিজাবেথের আমলের একজন অভিজাত এবং খ্যাতিমান অভিযাত্রী।
''রোড আইল্যান্ড'' ছিল ধর্মীয় ও রাজনৈতিক স্বাধীনতার একটি অনন্য পরীক্ষা। রজার উইলিয়ামস যখন প্রচার করতে থাকেন যে যিশু খ্রিস্ট চেয়েছিলেন যাতে গির্জা শাসনক্ষমতা থেকে পৃথক থাকে, তখন ম্যাসাচুসেটস তাকে নির্বাসিত করে। চার্চ অব ইংল্যান্ড এবং পরবর্তীতে পিউরিটানদের বিরোধিতা করা এই ব্যক্তি হন প্রথম আমেরিকান ব্যাপটিস্ট। অন্যান্য উপনিবেশে নানা অভিযানের পর তিনি নারাগানসেট ইন্ডিয়ানদের কাছ থেকে জমি কিনে একটি নতুন বসতি স্থাপন করেন। প্রভিডেন্স গঠিত হয়েছিল ধর্মীয় জটিলতা থেকে মুক্ত একটি উপনিবেশ এবং বিবেকবান মানুষের আশ্রয়স্থল হিসেবে। পরে তার অনুসরণে আসেন অ্যান হাচিনসন। তিনি বোস্টনের ধর্মীয় নেতাদের ক্ষুব্ধ করেছিলেন কারণ তিনি একজন নারী হয়েও প্রচার করতেন, এবং তিনি বিশ্বাস করতেন যে কার্যের সঙ্গে কৃপার সম্পর্ক সবসময় থাকে না, যা পিউরিটান মতবাদের বিরুদ্ধে। তিনিও ইন্ডিয়ানদের কাছ থেকে জমি কিনেছিলেন। সেখানে গঠিত হয় ''পোর্টসমাউথ'' নামের বসতি, এবং পরে একটি মতানৈক্যপূর্ণ সহোদর শহর ''নিউপোর্ট''। উপনিবেশটি আংশিকভাবে আকুইডনেক দ্বীপের উপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠে, যা পরবর্তীতে অজানা কারণে রোড আইল্যান্ড নামে পরিচিতি পায়, এবং পুরো উপনিবেশের নাম ওই স্থান থেকে নেওয়া হয়।
''জর্জিয়া'' ছিল আরেকটি মালিকানাভিত্তিক উপনিবেশ, যা রাজা প্রথম জর্জের নামানুসারে নামকরণ করা হয়। ১৭৩২ সালে জেমস ওগলথর্প ও অন্যান্যদের কাছে এর চার্টার প্রদান করা হয়। এটি অন্যান্য উপনিবেশকে ফ্লোরিডার স্প্যানিশ ও লুইজিয়ানার ফরাসিদের আক্রমণ থেকে রক্ষার জন্য একটি "বাফার" উপনিবেশ হিসেবে পরিকল্পিত ছিল। এই কারণে, জর্জিয়া ছিল একমাত্র উপনিবেশ যেটি প্রতিষ্ঠার সময় থেকেই ব্রিটিশ রাজশক্তির আর্থিক সহায়তা পেয়েছিল। তৎকালীন ব্রিটেনে ঋণগ্রস্ত মানুষদের কারাগারে পাঠানো হতো। এই ধরনের অনেক বন্দিকে অতিরিক্ত ভিড়যুক্ত জেল থেকে মুক্ত করে জর্জিয়া উপনিবেশে পাঠানো হয়। তখন আমেরিকাকে ইতিমধ্যে সমৃদ্ধির ভূমি হিসেবে দেখা হচ্ছিল, এবং ওগলথর্প আশা করেছিলেন এই প্রাক্তন বন্দিরা দ্রুত সৎ ও ধনী হয়ে উঠবে। কিন্তু লন্ডনের জেলখানার অধিকাংশ বন্দিই নতুন অজানা বন্য অঞ্চলে টিকে থাকার জ্ঞান রাখত না।
== ব্রিটিশ উপনিবেশগুলোর একটি চিত্র ==
উপনিবেশগুলোকে প্রায়শই তিনটি ভাগে বিবেচনা করা হয়: '''নিউ ইংল্যান্ড''' (নিউ হ্যাম্পশায়ার, ম্যাসাচুসেটস, রোড আইল্যান্ড, কানেকটিকাট), '''দক্ষিণ উপনিবেশসমূহ''' (মেরিল্যান্ড, ভার্জিনিয়া, ক্যারোলিনাসমূহ এবং জর্জিয়া), এবং '''মধ্য উপনিবেশসমূহ''' (নিউ ইয়র্ক, নিউ জার্সি, পেনসিলভানিয়া এবং ডেলাওয়্যার)। কখনও কখনও ক্যারোলিনাগুলো এবং জর্জিয়াকে চেসাপিক উপনিবেশ থেকে আলাদাভাবে গণ্য করা হয়।
প্রত্যেকটি গোষ্ঠীর ভৌগোলিক ও অর্থনৈতিক বৈশিষ্ট্য ছিল। নিউ ইংল্যান্ডের পাথুরে মাটি কেবল ছোট খামারের পক্ষে উপযুক্ত ছিল এবং কৃষিকাজের সুযোগ সীমিত ছিল। ফলে, এই অঞ্চলের লোকেরা অর্থ উপার্জনের জন্য মাছ ধরা, বনজ সম্পদ আহরণ, জাহাজ পরিবহন ও ক্ষুদ্র শিল্পের ওপর নির্ভর করত।<ref>{{cite book |last = Morison |first = Samuel Eliot |coauthors = |title = The Oxford History of the American People |publisher = Mentor |year = 1972 |location = New York City |pages =199–200 |url = |doi = |id = |isbn = 0451-62600-1 }}</ref>
দক্ষিণ উপনিবেশের উর্বর জমি ব্যক্তি মালিকদের দ্বারা দখল হয়, যারা বড় আকারের খামার তৈরি করে তামাক এবং পরবর্তীতে তুলা চাষ করত। ক্যারোলিনাদ্বয়ে চিনি, ধান ও নীল গাছও চাষ হতো। ১৭শ শতকে এসব ফসল খাটিয়ে নেওয়া হতো চুক্তিভিত্তিক শ্রমিকদের দ্বারা, যারা আমেরিকায় আসার জন্য ভাড়ার বিনিময়ে নির্দিষ্ট বছর কাজ করত এবং পরবর্তীতে জমির অধিকার পেত। এদের অনেকেই চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই মারা যেত। ১৬৭৬ সালে চুক্তিভিত্তিক শ্রমিকদের একটি দল বেকনের বিদ্রোহে অংশগ্রহণ করে। এই বিদ্রোহের পর বৃহৎ খামারগুলো আফ্রিকান ক্রীতদাসদের কাজে লাগাতে শুরু করে। যদিও অনেক চুক্তিভুক্ত শ্বেতাঙ্গ পরবর্তীতে মুক্ত হয়, তারা সামাজিকভাবে নিম্নবর্গেই থেকে যায়, যদিও তারা ক্রমাগত কঠোরতর দাসবিধির আওতায় পড়ত না—এই দাসবিধিগুলো দক্ষিণ উপনিবেশে দাসদের প্রায় সব স্বাধীনতা অস্বীকার করত। মার্কিন বিপ্লবের সময়, প্রতি পাঁচজন উপনিবেশবাসীর মধ্যে একজন ছিলেন আফ্রিকান দাস। আর দক্ষিণে দাসশ্রমে উৎপন্ন পণ্যই ছিল মধ্য উপনিবেশ ও নিউ ইংল্যান্ডের শহরগুলোর ভোগ ও বাণিজ্যের প্রধান উপকরণ। খুব কম লোকই দাসভিত্তিক অর্থনীতিকে প্রশ্ন করত।
মধ্য উপনিবেশে ছিল মাঝারি আকারের খামার। এসব উপনিবেশে ছিল বিভিন্ন সংস্কৃতি ও বিশ্বাসের মানুষ। এই রাজ্যগুলোতেও চুক্তিভিত্তিক শ্রমিক এবং পরে দাস ব্যবহার করা হতো, কিন্তু দক্ষিণ উপনিবেশের মতো বিশালসংখ্যক দাসশ্রমের ব্যবহার সেখানে দেখা যেত না।
আরেকটি পার্থক্য ছিল ধর্মীয় চর্চায়। নিউ ইংল্যান্ড ছিল মূলত কনগ্রিগেশনালিস্ট, কিছুটা প্রেসবিটারিয়ান এবং নিজেকে ব্যাপটিস্ট দাবি করা ধর্মীয় অসামঞ্জস্যবাদীদের উপস্থিতি ছিল। তারা সবাই ছিলেন ব্রিটিশ গৃহযুদ্ধের পূর্ব ও সময়কার ধর্মীয় ভিন্নমতাবলম্বীদের উত্তরসূরি। দক্ষিণে প্রধানত অ্যাংলিকানরা ছিল, যারা ধর্মীয় ও ধর্মবহির্ভূত ঐতিহ্য ও ছুটির দিনগুলোকে মূল্য দিত। মধ্য উপনিবেশে ছিল হল্যান্ড, জার্মান ভূখণ্ড ও এমনকি বোহেমিয়ার ছোট ছোট জনগোষ্ঠী, যারা নিয়ে এসেছিল ক্যাথলিক ও প্রোটেস্টান্ট বিশ্বাসের বৈচিত্র্য।
যেসব শ্বেতাঙ্গকে ইংরেজ কর্তৃপক্ষ আমেরিকায় পাঠিয়েছিল, তাদের মধ্যে অনেক স্কটস-আইরিশ ছিল, যারা আলস্টার থেকে আগত। এরা ছিল ক্যালভিনবাদী প্রোটেস্টান্ট, যাদের অবস্থান ছিল আইরিশ ক্যাথলিক সংখ্যাগোষ্ঠীর মধ্যে এবং তারা উভয় পক্ষ ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধেই অবস্থান করত। এই সংখ্যালঘু দল অ্যাপালাচিয়ান পর্বতমালা এবং পরে ওহাইও ও মিসিসিপি অঞ্চলের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে বসতি স্থাপন করেছিল। আমেরিকায় তারা ভূমি ও স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষায় সামান্য খরচে উপনিবেশের সীমান্তকে পশ্চিম দিকে প্রসারিত করেছিল, এবং পূর্বাঞ্চলের বসতিগুলো ও স্থানচ্যুত আদিবাসী গোষ্ঠীর মধ্যে একপ্রকার সশস্ত্র সীমানা রক্ষা করেছিল। উপনিবেশিক সীমান্তবাসীদের জীবন ছিল অত্যন্ত কষ্টকর—তারা নিজের হাতে ঘন বনাঞ্চলে শহর ও খামার গড়ে তুলত, দারিদ্র্য ও আদিবাসী আক্রমণের মুখোমুখি হয়ে।
প্রত্যেকটি উপনিবেশ স্থানীয় ধর্মবিশ্বাস ও সামর্থ্য অনুযায়ী শিক্ষাদান ও বিনোদনের নিজস্ব ক্ষেত্র গড়ে তোলে। দক্ষিণাঞ্চলের সংস্কৃতিতে সংগীতনাট্যে আগ্রহ দেখা যায়, যার কেন্দ্র ছিল চার্লসটন, সাউথ ক্যারোলিনা এবং উইলিয়ামসবার্গ, ভার্জিনিয়া। ১৭৫০ সালে নিউ ইয়র্ক সিটিতে শেক্সপিয়ারের "রিচার্ড থার্ড" নাটকের একটি পেশাদার পরিবেশনা হয়, যা ছিল আমেরিকায় শেক্সপিয়ারের প্রথম পেশাদার নাট্য পরিবেশনা। প্রচারক, বক্তা ও গায়করা উপনিবেশবাসীদের বিনোদন দিতেন।
তাদের মধ্যে পার্থক্যের চেয়ে মিলই ছিল বেশি। তিনটি অঞ্চলেই জনসংখ্যা প্রধানত ব্রিটিশ দ্বীপপুঞ্জ থেকে আগত। প্রত্যেকটির সড়কব্যবস্থা ছিল অত্যন্ত খারাপ, এবং আটলান্টিক মহাসাগরের মাধ্যমে তারা পরিবহণের সংযোগ রাখত। এরা সবাই আটলান্টিক অর্থনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিল। আটলান্টিক অঞ্চলের বণিকেরা জাহাজে করে আমেরিকা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ইউরোপ এবং আফ্রিকার মধ্যে দাস, তামাক, রাম, চিনি, সোনা, রূপা, মসলা, মাছ, কাঠ এবং প্রস্তুত পণ্য আদান-প্রদান করত।<ref>{{cite book|title=Cod: A Biography of the Fish That Changed the World|last=Kurlansky|first=Mark|publisher=New York: Walker|isbn=0-8027-1326-2}}</ref> নিউ ইয়র্ক, ফিলাডেলফিয়া, বোস্টন ও চার্লসটন ছিল সে সময়ের বৃহত্তম শহর এবং প্রধান বন্দর।<ref>{{cite web| url= http://www.census.gov/population/www/documentation/twps0027/tab02.txt| title= Earliest Population Figures for American Cities | author= U.S. Census Bureau|accessdate=2010-08-29}}</ref>
== প্রাথমিক প্রযুক্তি ==
প্রথম দফার উপনিবেশকারীরা খেটে খাওয়া শ্রমের মাধ্যমে তাদের খামার চাষ করতেন এবং কুমারশিল্প ও চামড়া ট্যানিংয়ের মতো ভূমিভিত্তিক হস্তশিল্প গড়ে তুলেছিলেন। পরবর্তী সময়ে জাহাজে করে গরু ও ঘোড়া আনা হলে খসড়া প্রাণী অর্থনীতির অংশ হয়ে ওঠে। চুক্তিভিত্তিক শ্রমিক এবং পরে আফ্রিকা থেকে অপহৃত দাসদের আমদানি করা হয়। তখনই বৃহৎ আকারের কারখানা স্থাপিত হতে শুরু করে। অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষভাগে ছোট পরিসরে যন্ত্রনির্ভর উৎপাদনশিল্প দেখা দেয়। লোকজন কয়লা ও লৌহ আকরিক খনন শুরু করে। নিউ ইংল্যান্ড ওই আকরিক ব্যবহার করে নির্মাণ সরঞ্জাম ও ঘোড়ার নাল তৈরি করতে শুরু করে। দক্ষিণের তুলার ওপর নির্ভরশীল একটি নতুন বস্ত্রশিল্প গড়ে ওঠে। কাঠ বা কয়লা দ্বারা চালিত এবং শক্তিশালী ধাতুর চাহিদায় পরিচালিত গৃহস্থালির ধাতুকর্মে লোহা গলানোর নতুন কৌশল উদ্ভাবিত হয়। লোহার কাজ করা কারিগর ও টিনশিল্পীরা বড় বসতিগুলোর অংশ হয়ে ওঠে। উপনিবেশগুলো যান্ত্রিক ঘড়ি, আগ্নেয়াস্ত্র এবং ছাপাখানার জন্য সীসা টাইপ তৈরি করতে শুরু করে।
<gallery mode="packed" heights="150px">
File:The Francis Skerry Beaker, Jeremiah Dummer, American, c. 1670, silver - Fogg Art Museum, Harvard University - DSC01384.jpg|১৬৭০ সালের কাছাকাছি সময়ে আমেরিকায় জন্মগ্রহণকারী প্রথম রূপকার [[w:Jeremiah Dummer (silversmith)|জেরেমায়া ডামার]] নির্মিত একটি রূপার বীকার।
File:First Slave Auction 1655 Howard Pyle.jpg|১৬৫৫ সালে নিউ আমস্টারডামে অনুষ্ঠিত প্রথম দাস নিলামের চিত্র। (১৮৯৫ সালের চিত্রাঙ্কন)
File:WestFrontMansionMountVernon.jpg|মাউন্ট ভারন প্ল্যান্টেশন, নির্মিত ১৭৫৮ সালে। যখন জর্জ ওয়াশিংটন ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেন, তখনও তিনি তার নিজের দাসদের ধরে রেখেছিলেন, যারা নিজেরাও স্বাধীনতার অভাবে অসন্তুষ্ট ছিলেন।<ref>{{cite web |title=Resistance and Punishment |url=https://www.mountvernon.org/george-washington/slavery/resistance-and-punishment/ |website=George Washington's Mount Vernon |accessdate=19 September 2020 |language=en}}</ref>
File:Parkman Tavern, Concord MA.jpg|[[w:Parkman Tavern|পার্কম্যান ট্যাভার্ন]], ম্যাসাচুসেটসের কনকর্ডের ১৬৫৯ সালে নির্মিত।
</gallery>
== বাণিজ্যনৈতিক মতবাদ, সহনশীল অবহেলা ও ব্রিটিশ হস্তক্ষেপ ==
আমেরিকান উপনিবেশগুলো যারা সমুদ্র দিয়ে বিচ্ছিন্ন একেবারে নতুন সমাজ ছিল, তারা বিশ্বাস করত যে তাদের নিজেদের শাসনের অধিকার রয়েছে। এই বিশ্বাসকে উৎসাহিত করেছিল ব্রিটেনের গৌরবময় বিপ্লব এবং ১৬৮৯ সালের অধিকার আইন, যা পার্লামেন্টকে সর্বোচ্চ শাসনক্ষমতা দেয়। '''সহনশীল অবহেলার''' নামে পরিচিত অপেক্ষাকৃত শিথিল নিয়ন্ত্রণের এই নীতির অবসান ঘটে ব্রিটিশ নিয়ন্ত্রণ বৃদ্ধি পাওয়ার মাধ্যমে, যা বাণিজ্যনৈতিক মতবাদের প্রভাবে এবং লর্ডস অফ ট্রেড ও পরবর্তী পরিভ্রমণ আইনগুলোর মাধ্যমে প্রতিফলিত হয়।
=== বাণিজ্যনৈতিক মতবাদ ===
পার্লামেন্ট '''বাণিজ্যনৈতিক মতবাদ''' নামক অর্থনৈতিক নীতির অনুসরণে উপনিবেশগুলোর বাণিজ্যের ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করে। এই মতবাদের মূল ধারণা ছিল—একটি জাতির অর্থনৈতিক শক্তি নির্ভর করে তার রপ্তানি পণ্যের মূল্যের ওপর। একটি দেশ তার উপনিবেশগুলোর মাধ্যমে কাঁচামালের পরিবর্তে প্রস্তুত পণ্য উৎপাদন করতে পারে। এই পণ্যগুলো অন্যান্য দেশের সঙ্গে বিনিময় করে উপনিবেশকারী দেশের শক্তি বাড়ানো সম্ভব। এই নীতির প্রবর্তক ছিলেন ফরাসি অর্থনীতিবিদ জঁ-বাতিস্ত কোলবে। এটি ব্রিটেনের জন্য অত্যন্ত উপযোগী মনে করা হয়। স্পেনের অর্থনৈতিক ভিত্তি ছিল আমেরিকান সোনা, আর ফ্রান্সের ছিল আমেরিকান পশম। ইংল্যান্ডের কাছে সোনা বা পশম ছিল না, তবে তাদের ছিল আমেরিকান তুলা, মলাসেস (আখের গুড়), তামাক, এবং উন্নত মানের জাহাজ। ১৭০০ শতকের মধ্যভাগ পর্যন্ত উপনিবেশগুলো "সহনশীল অবহেলা"-এর দীর্ঘ সময় উপভোগ করেছিল, যেখানে ব্রিটিশরা প্রায়ই উপনিবেশগুলিকে নিজেদের মতো করে পরিচালনা করতে দিত। পরে সেই সময় শেষ হয়।
=== লর্ডস অফ ট্রেড ===
বাণিজ্যনৈতিক নীতিগুলো কার্যকর করার প্রয়াসে রাজা দ্বিতীয় চার্লস প্রিভি কাউন্সিলের একটি নতুন কমিটি হিসেবে '''লর্ডস অফ ট্রেড''' গঠন করেন। এই লর্ডরা উপনিবেশগুলোর শাসন ইংরেজদের পক্ষে উপযোগী করার চেষ্টা করেন, যা উপনিবেশবাসীদের পক্ষে অনুকূল ছিল না।
লর্ডস অফ ট্রেড চেয়েছিল সমস্ত আমেরিকান উপনিবেশকে রাজকীয় উপনিবেশে রূপান্তর করতে, যাতে ক্রাউনের শক্তি বাড়ানো যায়। রাজা দ্বিতীয় জেমসের শাসনকালে (দ্বিতীয় চার্লসের উত্তরসূরি) নিউ ইয়র্ক, নিউ জার্সি এবং পুরিটান উপনিবেশগুলোকে একত্র করে ১৬৮৭ সালে “নিউ ইংল্যান্ড অধিরাজ্য” গঠন করা হয়।
তবে এই অধিরাজ্য অল্পদিন টিকে ছিল। দ্বিতীয় জেমস ছিলেন ক্যাথলিক, আর ব্রিটিশ প্রোটেস্টান্টরা তাকে হুমকি মনে করত। গৌরবময় বিপ্লবে (১৬৮৮) তাকে সিংহাসনচ্যুত করা হয় (পার্লামেন্ট তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে সিংহাসন ত্যাগ করানো হয়েছে বলে ধরে নেয়)। ১৬৮৯ সালে জেমসের কন্যা দ্বিতীয় মেরি ও তার স্বামী তৃতীয় উইলিয়াম যুগ্মভাবে সিংহাসনে বসেন। তবে প্রকৃত ক্ষমতা ছিল ব্রিটিশ পার্লামেন্টের হাতে। নিউ ইংল্যান্ড অধিরাজ্য বিলুপ্ত হয়, পৃথক উপনিবেশগুলো পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয় এবং লর্ডস অফ ট্রেড বিলুপ্ত হয় (এর পরিবর্তে কেবল উপদেষ্টা ভিত্তিক একটি বোর্ড অফ ট্রেড গঠিত হয়)।
=== পরিভ্রমণ আইনসমূহ ===
১৬৬০ সাল থেকে ইংল্যান্ডের পার্লামেন্ট '''পরিভ্রমণ আইনসমূহ''' প্রণয়ন করতে থাকে, যাতে তারা তাদের উপনিবেশ থেকে বেশি লাভ তুলতে পারে। এসব আইনের অধীনে নির্ধারিত হয় যে যেকোনো উপনিবেশিক আমদানি-রপ্তানি কেবলমাত্র ইংল্যান্ডে নিবন্ধিত জাহাজে পরিবাহিত হতে পারবে—মানে শুধুমাত্র ইংল্যান্ডই জাহাজ চলাচলের ক্ষমতা ও এর থেকে আসা মুনাফা ভোগ করবে। তামাক ও চিনি রপ্তানি শুধুমাত্র ইংল্যান্ডে করা যাবে, অন্য কোনো দেশে নয়। (তখন তামাক ও চিনি দুটোই ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হতো—চিনির দ্বারা অ্যালকোহল তৈরি করা হতো যা ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হতো)। এবং উপনিবেশগুলো কোনো বিদেশি নির্মিত পণ্য আমদানি করতে পারত না, যদি না সেগুলো প্রথমে ইংল্যান্ডে নিয়ে যাওয়া হতো, সেখানে শুল্ক পরিশোধ করা হতো, তারপর সেগুলো উপনিবেশে পাঠানো হতো।
১৭৩০-এর দশকে চিনি আইন অনুযায়ী উপনিবেশগুলোতে আমদানি হওয়া প্রতি গ্যালন চিনি বা মলাসেসের ওপর ছয় পেন্স কর আরোপ করা হয়। ১৭৫০ সালের মধ্যে পার্লামেন্ট আরও অনেক পণ্যের ওপর নিষেধাজ্ঞা, নিয়ন্ত্রণ বা কর আরোপ করতে শুরু করে। তারা উপনিবেশে সমস্ত ধরনের উৎপাদন ঠেকাতে চায়। এই নীতিগুলো উপনিবেশবাসীদের মধ্যে প্রবল ক্ষোভ সৃষ্টি করে, যদিও ইউরোপের অন্যান্য রাজতন্ত্রের প্রজাদের তুলনায় তাদের করভার তুলনামূলকভাবে কম ছিল।
উপনিবেশবাসীরা পরিভ্রমণ আইনগুলোকে ঘৃণা করত, কারণ তারা বিশ্বাস করত যে নিজেরা বাণিজ্য করতে পারলে আরও সমৃদ্ধ ও ধনী হতে পারবে। তারা আরও বিশ্বাস করত যে কিছু গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ ইংল্যান্ডে পাওয়া যায় না।
== ১৭০০-এর দশকে আদিবাসী ==
গ্রেট প্লেইন্সের আদিবাসী:
আজকের দিনে যেই অঞ্চল জুড়ে গ্রেট প্লেইন্সের সমস্ত আদিবাসীরা বাস করত, তা রকি পর্বতমালা থেকে মিসিসিপি নদী পর্যন্ত বিস্তৃত। ১৭০০-এর দশকে প্রায় ৩০টি গোত্র এই গ্রেট প্লেইন্স অঞ্চলে বসবাস করত। এই গোত্রগুলো মূলত খাদ্য এবং দৈনন্দিন অন্যান্য প্রয়োজনীয়তার জন্য মহিষের ওপর নির্ভর করত। আদিবাসীরা—বিশেষ করে নারীরা—তাদের পোশাক মহিষের চামড়া দিয়ে তৈরি করত, তবে তারা হরিণের চামড়াও ব্যবহার করতেন। নারীরা মৃত হরিণ বা মহিষের চামড়া জলে ভিজিয়ে রাখত এবং এরপর তার লোম চেঁছে ফেলত।<ref name="englar">Englar, Mary. The Great Plains Indians: Daily Life in the 1700s. Mankato, MN: Capstone, 2006. Print.</ref>
তদ্ব্যতীত, আদিবাসী গোত্রগুলো একে অপরের সঙ্গে বাণিজ্য করত। একজন ব্যক্তির কাছে যত বেশি ঘোড়া থাকত, তাকে তত বেশি ধনী বলে মনে করা হতো; আদিবাসীরা তাদের ঘোড়ার বিনিময়ে খাদ্য, যন্ত্রপাতি, অস্ত্র (যেমন বন্দুক), এবং পশুচর্ম বিনিময় করত। যেহেতু বিভিন্ন গোত্রের ভাষা একে অপরের থেকে ভিন্ন ছিল, তাই তারা পারস্পরিক বাণিজ্যের সময় সাঙ্কেতিক ভাষা ব্যবহার করত।<ref name="englar" />
== ফিলাডেলফিয়া নির্বাচনী দাঙ্গা ==
১৭৪২ সালে নির্বাচনের দিনে ফিলাডেলফিয়ায় একটি দাঙ্গা শুরু হয়, যার কারণ ছিল অ্যাঙ্গলিকান জনগণের কোয়াকার সংখ্যাগোষ্ঠীর সঙ্গে মতবিরোধ। এই দাঙ্গার মূল কারণ ছিল অ্যাঙ্গলিকান ও কোয়াকার জনগণের মধ্যে ক্ষমতার দ্বন্দ্ব। কোয়াকাররা ফিলাডেলফিয়ায় দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক আধিপত্য বজায় রেখেছিল। জার্মান জনগণ কোয়াকারদের ভোটকে সমর্থন করেছিল, কারণ কোয়াকার অহিংস নীতির ফলে কর বাড়ার সম্ভাবনা এবং শেষ পর্যন্ত বাধ্যতামূলক সৈন্যভর্তির আশঙ্কা কমে যেত। নির্বাচনের দিনে অ্যাঙ্গলিকান ও নাবিকেরা কোয়াকার এবং জার্মানদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। কোয়াকাররা কোর্টহাউসে আশ্রয় নিতে সক্ষম হয় এবং নির্বাচন সম্পন্ন করে। অ্যাঙ্গলিকান দল নির্বাচনে পরাজিত হয় এবং দাঙ্গার পর ৫৪ জন নাবিককে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়।
== শিক্ষা ==
১৭০০-এর দশকে উপনিবেশগুলোর তিনটি অঞ্চল ভিন্ন ভিন্ন আগ্রহসম্পন্ন জনগোষ্ঠী নিয়ে গঠিত ছিল, ফলে তারা তাদের শিশুদের জন্য ভিন্নধর্মী শিক্ষা প্রদান করত। যদিও কিছু সাধারণ বৈশিষ্ট্য ছিল — তিন অঞ্চলের যে কোনো ধনী পরিবার তাদের পুত্রকে ইউরোপে পড়তে পাঠাতে পারত — তবুও বিভিন্ন উপনিবেশে শিক্ষাদানের ধরণে পার্থক্য দেখা যেত।
নিউ ইংল্যান্ডে শিক্ষার উদ্দেশ্য ছিল সামাজিক ও ধর্মীয় উভয়ই। একজন সুশীল নাগরিককে অবশ্যই বাইবেল জানতে হতো। ১৬৪৭ সালের ম্যাসাচুসেটস সাধারণ বিদ্যালয় আইন বলেছিল, যদি কোনো অঞ্চলে ৫০টির বেশি পরিবার বসবাস করে, তবে একজন স্কুলশিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে। এই আইনের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছিল: "সেই পুরাতন প্রতারক, শয়তানের অন্যতম প্রধান কৌশল হলো মানুষকে বাইবেলের জ্ঞান থেকে দূরে রাখা, যেমন পূর্বকালে অজানা ভাষায় বাইবেল রেখে আর বর্তমানে ভাষা ব্যবহারে নিরুৎসাহিত করে; যাতে মূল বক্তব্য বিভিন্ন মিথ্যা ব্যাখ্যা ও সান্ত-সদৃশ প্রতারকদের দ্বারা বিকৃত হয়; এবং যেন শিক্ষা আমাদের পূর্বপুরুষদের কবরে চাপা না পড়ে, গির্জায় ও রাষ্ট্রে তা টিকে থাকে, প্রভুর সহায়তায় আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।" এটি ছিল পিলগ্রিমদের নীতিমালা, যা তারা স্বৈরাচারীদের চাপিয়ে দেওয়া অজ্ঞতার বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠা করেছিল। ছেলে ও মেয়েরা প্রায়শই তাদের বাবা-মায়ের কাছেই সম্ভবত একটি "হর্নবুক" ব্যবহার করে বাইবেল পড়তে শিখত, — এটি এক ধরণের বর্ণমালা ও শব্দতালিকা পাতা যেটি শিং দিয়ে মোড়ানো থাকত।
শুধু বাইবেল পড়তে পারলেই চলবে না, একজন খ্রিস্টানকে অবশ্যই পুরুষদের সমাজে শাসন করতে পারতে হবে। (''পুরুষদের'' সমাজে: কারণ সরকার পরিচালনা ছিল ধার্মিক, সম্পত্তিধারী পুরুষদের অধিকার, নারীদের নয়।) এই উদ্দেশ্যে তরুণদের মূলত লাতিনভিত্তিক শাস্ত্রীয় শিক্ষা অর্জন করতে হতো। ১৬৪৭ সালের আইন ছিল আমেরিকান গ্রামার স্কুলের সূচনা, যা শুরুতে লাতিন পড়াত, পরে এতে পরিভ্রমণ, প্রকৌশল, হিসাবরক্ষণ, ও বিদেশি ভাষার মতো ব্যবহারিক বিষয় যুক্ত হয়।<ref>A People and a Nation, Eighth Edition</ref> উপনিবেশিক যুগে খোলা বেশিরভাগ স্কুল ছিল ব্যক্তি মালিকানাধীন।<ref>http://www.excite.com/education/education/history-of-american-education</ref> তবে এর আগে ছিল ১৬৩৫ সালে প্রতিষ্ঠিত বোস্টন লাতিন স্কুল, প্রথম সরকার সমর্থিত বিদ্যালয়। এর পাঠ্যক্রম ছিল কঠোর, ফলে ছাত্রসংখ্যা ছিল কম। মূলত প্রোটেস্টান্ট ধর্মযাজকদের প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্যে ১৬৩৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হার্ভার্ড ছিল আমেরিকার প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়। শাস্ত্রীয় পাঠ্যক্রম থেকে স্নাতকের সংখ্যা খুবই কম ছিল, ফলে উপস্থিতিও ছিল কম। কেউ কেউ সরাসরি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতো, কেউ ১৪ বা ১৫ বছর বয়সেই হার্ভার্ডে ঢুকত। কটন ম্যাথার ১৫ বছর বয়সে হার্ভার্ড থেকে স্নাতক হয়েছিলেন, যা ছিল তার অস্বাভাবিক প্রতিভার কারণে ব্যতিক্রম। ব্যক্তিগত স্কুলে ছেলে ও মেয়েরা হাতের লেখা, মৌলিক গণিত, ইংরেজি পড়া ও লেখা শিখত। এরপর তারা বিভিন্ন পেশায় শিক্ষানবিশ হিসেবে প্রবেশ করত। যারা গৃহপরিচারিকা হতো না, তারা গৃহস্থালি কাজের জন্য প্রশিক্ষিত হতো — সূচিশিল্প, রান্না, এবং কয়েকদিন ধরে কাপড় ধোয়ার মতো কাজ শেখানো হতো।
নিউ ইংল্যান্ডের মতো, মধ্য উপনিবেশগুলোতেও বেসরকারি স্কুল ছিল, যেখানে পড়া ও লেখা শেখানো হতো। তবে মৌলিক শিক্ষা সেখানে আরও দুর্লভ ছিল। পশ্চিমে যত দূরে কেউ বাস করত, স্কুলে যাওয়া কিংবা পড়তে ও লিখতে শেখার সম্ভাবনা ততই কম হতো। জাতিগত ও ধর্মীয় উপগোষ্ঠীগুলো নিজেদের শিশুদের জন্য নিজেদের নিয়মে বেসরকারি স্কুল চালাত। কোনো উপনিবেশেই উচ্চশিক্ষা নিশ্চিত ছিল না। মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলো বড় শহর ছাড়া খুবই বিরল ছিল, যেমন বোস্টন, নিউ ইয়র্ক, ফিলাডেলফিয়া ও চার্লসটন।<ref>A People and a Nation Eighth Edition</ref>
চেসাপিক অঞ্চলের অভিজ্ঞতা ছিল একেবারেই ভিন্ন। শিশুদের পড়তে ও লিখতে পারার পূর্বশর্ত ছিল, তাদের বাবা-মাও যদি তা পারেন।<ref>A People and a Nation Eighth Edition</ref> দক্ষিণে বিপ্লবী যুগ পর্যন্ত খুব কম সংখ্যক স্কুল ছিল, যেকোনো ধরণেরই হোক না কেন। ধনী পরিবারের শিশুরা ব্যক্তিগত শিক্ষকের অধীনে পড়াশোনা করত। ধনী মেয়েরা 'নারীসুলভ শিল্পকলায়' শিক্ষিত হতো, তবে তাদের পাঠ্যক্রম তাদের ভাইদের মতো হতো না। মার্থা ওয়াশিংটনের নাতনি এলিজা কাস্টিস তার সৎপিতার বিদ্রূপের কথা বলার সময় বলেছিলেন "[আমার] দুঃখ লেগেছিল, তারা আমাকে গ্রিক ও লাতিন শেখাতে চায়নি, কারণ আমি মেয়ে — তারা হাসল এবং বলল, মেয়েদের এসব জানার দরকার নেই, সেলাই, লেখা, অঙ্ক এবং সংগীতই যথেষ্ট।"<ref>Edmund S. Morgan. Virginians At Home: Family Life in the Eighteenth Century. Charlottesville, VA: Dominion Books, 1962(1952). P. 17</ref> মধ্যবিত্ত শিশুরা বাবা-মায়ের কাছেই পড়া শিখত, আর গরিব শিশুদের অনেকেই, বিশেষ করে কৃষ্ণাঙ্গ শিশুরা কোনো শিক্ষাই পেত না। দক্ষিণে স্বাক্ষরতার হার উত্তরাঞ্চলের তুলনায় কম ছিল, যা উনবিংশ শতাব্দী পর্যন্ত বজায় ছিল।<ref>A People and a Nation, Eighth Edition</ref>
[[File:Harvard Old College.jpg|thumb|১৬৩৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হার্ভার্ড যুক্তরাষ্ট্রের সর্বপ্রথম উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান।]]
১৬৯৩ সালে কলেজ অব উইলিয়াম অ্যান্ড ম্যারি প্রতিষ্ঠিত হয়, যা ছিল ভার্জিনিয়ার প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়। ১৮ শতক গড়িয়ে এলে এটি ধর্মতত্ত্বের বদলে আইনশাস্ত্রে বিশেষীকরণ শুরু করে।<ref>Morgan, p. 27.</ref> ১৭০১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ''কলেজিয়েট কলেজ''। ১৭১৮ সালে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির ওয়েলশীয় গভর্নর এলিহু ইয়েলের অনুদানে এর নাম হয় ইয়েল কলেজ। পরে আরও কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় গঠিত হয়, যার মধ্যে ১৭৪৭ সালের প্রিন্সটন অন্যতম। ১৮ শতকে কলেজের পাঠ্যক্রমে জ্যোতির্বিজ্ঞান, পদার্থবিজ্ঞান, আধুনিক ইতিহাস ও রাজনীতি বিষয়গুলো গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। কিছু কলেজ ১৮ শতকে আদিবাসী মার্কিন ছাত্রদের ভর্তি করার চেষ্টা করলেও আফ্রিকান-আমেরিকানদের ভর্তি করা হতো না।<ref>A People and a Nation, Eighth Edition</ref>
১৬৪০ সালে ম্যাসাচুসেটসের ক্যামব্রিজে মুদ্রিত হয় ''দ্য হোল বুক অফ সাল্মস ফেইথফুলি ট্রান্সলেটেড ইন্টু ইংলিশ মিটার'', যা সাধারণভাবে বেই সাল্মস বুক নামে পরিচিত। এটি ছিল নতুন পৃথিবীতে (উত্তর আমেরিকায়) লেখা প্রথম বই। এই বিখ্যাত ও প্রভাবশালী সঙ্গীত বইটির পর নিউ ইংল্যান্ডে একটি পূর্ণাঙ্গ প্রকাশনা শিল্প গড়ে ওঠে। ১৬৮৭ সালের কিছু পর ''নিউ ইংল্যান্ড প্রিমিয়ার'' প্রকাশিত হয়, যা শিশুদের পড়া ও বানানের সহায়ক হিসেবে ব্যবহৃত হতো।
একটি বিকল্প শিক্ষাপদ্ধতি দেখা যায় বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিনের প্রতিষ্ঠিত আমেরিকান অ্যাকাডেমিতে, যা ১৭৫১ সালে ফিলাডেলফিয়ায় গঠিত হয়। এই প্রতিষ্ঠানটি আধুনিক আমেরিকান হাই স্কুলের মডেলের কাছাকাছি ছিল, যেখানে পেশাগত শিক্ষা দেওয়া হতো। এ ধরণের স্কুল পরে ক্লাসিক্যাল সেকেন্ডারি স্কুলের সংখ্যাকে ছাড়িয়ে যায়। তবে ফ্রাঙ্কলিনের অ্যাকাডেমিও ছিল ব্যক্তি মালিকানাধীন, ফলে এ শিক্ষালাভ সম্ভব ছিল কেবল অর্থবিত্তশালীদের জন্য।
এই সময়কালে উপনিবেশবাসীরা মার্কিন আদিবাসীদের খ্রিস্টধর্মে ধর্মান্তরিত করার চেষ্টা চালায়।<ref>http://www.encyclopedia.com/doc/1G2-2536600517.html</ref>
== পুনঃমূল্যায়ন প্রশ্নাবলী ==
১. নিচের উপনিবেশগুলোর মধ্যে একটি নির্বাচন করুন: নিউ ইয়র্ক, ভার্জিনিয়া, ম্যাসাচুসেটস, জর্জিয়া। এটি উপনিবেশের কোন তিনটি অঞ্চলের মধ্যে অবস্থিত? কেন এবং কীভাবে এটি শুরুতে উপনিবেশিকৃত হয়েছিল? এর অভিবাসী ও তাদের অনুসৃত ধর্ম কিভাবে ওই অঞ্চলের ওপর প্রভাব ফেলেছিল?
২. ব্রিটিশরা কেন উপনিবেশগুলোর সঙ্গে হস্তক্ষেপ করেছিল?
==উৎসসমূহ==
{{reflist}} {{chapnav|Exploration|Road to Revolution}} {{status|100%}} {{BookCat}}
q9ldxkhhq1rn4cpgrpcqsv0lozl65ll
রন্ধনপ্রনালী:টঙ্কা তোরানি
0
25533
84810
84597
2025-06-18T08:40:44Z
Mehedi Abedin
7113
84810
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = পানীয়
| পরিবেশন = পরিমান অনুসারে, কমপক্ষে ৭-৮ জন।
| তৈরির সময় = প্রায় ২৪ ঘণ্টা অর্থাৎ এক দিন
| কষ্টসাধ্য = ৪
| চিত্র =
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''টঙ্কা তোরানি'''</big></center>
টঙ্কা তোরানি ভারতের ওড়িশা রাজ্যে জনপ্রিয় একটি গ্রীষ্মকালীন শীতল পানীয়। ভাতকে জারিয়ে নিয়ে তৈরি করা এই পানীয় পুরীর জগন্নাথ দেবের মহাপ্রসাদ হিসাবে নিবেদন হয়, তেমনই পুরীর রথযাত্রার সময়ে ভক্তরাও এটি পান করেন। এ ছাড়া নানা উৎসব, অনুষ্ঠান এমনকি, নববর্ষেও টঙ্কা তোরানি পান করার চল রয়েছে ওড়িশায়। বিশেষ করে গ্রীষ্মকালে ওড়িশার মানুষ বাড়িতে বানিয়ে নেন ওই পানীয়। টঙ্কা তোরানির স্বাদে টক-ঝালের মিশ্রন পাওয়া যায়। এতে চিনি যোগ করা হয়না। প্রতি চুমুকের স্বাথে এক সুতেজ গন্ধ পাওয়া যায় যা গ্রীষ্মকালের গরম থেকে শরীরকে তাজা ও চনমনে রাখতে সাহায্য করে। যেহেতু জারণ করে তৈরি, তাই এই পানীয়ে থাকে ভরপুর প্রোবায়োটিক, যা পেটের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। এ ছাড়া ওই শরবতের বাকি উপাদানগুলিও হজমশক্তি বৃদ্ধি করে।
==উপকরন==
{| class="wikitable"
! উপকরন !! পরিমান
|-
| ভাত || ১ কাপ
|-
| দই || ৩ টেবিল চামচ
|-
| আম আদা || দেড় গাট মাপ
|-
| লেবু পাতা || ৮-১০টি
|-
| কারিপাতা || ১৪-১৫টি
|-
| কাঁচালঙ্কা || ৪-৫টি
|-
| লেবুর চাকতি || ৫-৬টি (আড়াআড়ি করে কাটা)
|-
| লেবু || অর্ধেকটি
|-
| ভাজা জিরে গুঁড়ো || ১/২ টেবিল চামচ
|-
| নুন || স্বাদমতো
|-
| জল || প্রয়োজনমতো
|}
== রন্ধনপ্রণালী ==
# একটি পরিষ্কার মাটির বা যেকোনও পাত্রে ভাত জলে ভিজিয়ে ঢেকে রাখুন অন্তত ২০ ঘণ্টা।
# সময় হলে ঢাকনা খুলে পরিষ্কার হাতে জলের সঙ্গে ভাত ভালোভাবে চটকে নিন, তারপর জল ছেঁকে নিন। একেই বলা হয় তোরানি
# এবার হামানদিস্তায় আমআদা, কাঁচালঙ্কা, ৫-৬টি লেবু পাতা ও কারিপাতা দিয়ে ভালোভাবে ছেঁচে নিন।
# তোরানির মধ্যে প্রথমে দই মেশান এবং ভালোভাবে গুলে নিন।
# এরপর তাতে ছেঁচে রাখা মশলা, অর্ধেক লেবুর রস, ভাজা জিরে গুঁড়ো, লেবুর চাকতিগুলো এবং বাকি লেবুপাতা দিয়ে দিন।
# পরিষ্কার হাতে তোরানির মধ্যে দেওয়া সমস্ত উপকরণ ভালোভাবে চেপে মেশান যাতে সুগন্ধ পানীয়ে ভালোভাবে মিশে যায়।
# প্রয়োজনে পরিমাণ মতো জল দিন।<span style=color:red;><center>'''মাটির ভাঁড়ে ঠান্ডা ঠান্ডা পরিবেশন করুন টঙ্কা তোরানি'''</center></span>
{{বর্ণানুক্রমিক|ট}}
[[বিষয়শ্রেণী:রন্ধনপ্রণালী]]
[[বিষয়শ্রেণী:পানীয়]]
fucrn5xxy163qm2rkitig1s1im0uy93
84811
84810
2025-06-18T08:41:10Z
Mehedi Abedin
7113
84811
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = পানীয়
| পরিবেশন = পরিমান অনুসারে, কমপক্ষে ৭-৮ জন।
| তৈরির সময় = প্রায় ২৪ ঘণ্টা অর্থাৎ এক দিন
| কষ্টসাধ্য = ৪
| চিত্র =
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''টঙ্কা তোরানি'''</big></center>
টঙ্কা তোরানি ভারতের ওড়িশা রাজ্যে জনপ্রিয় একটি গ্রীষ্মকালীন শীতল পানীয়। ভাতকে জারিয়ে নিয়ে তৈরি করা এই পানীয় পুরীর জগন্নাথ দেবের মহাপ্রসাদ হিসাবে নিবেদন হয়, তেমনই পুরীর রথযাত্রার সময়ে ভক্তরাও এটি পান করেন। এ ছাড়া নানা উৎসব, অনুষ্ঠান এমনকি, নববর্ষেও টঙ্কা তোরানি পান করার চল রয়েছে ওড়িশায়। বিশেষ করে গ্রীষ্মকালে ওড়িশার মানুষ বাড়িতে বানিয়ে নেন ওই পানীয়। টঙ্কা তোরানির স্বাদে টক-ঝালের মিশ্রন পাওয়া যায়। এতে চিনি যোগ করা হয়না। প্রতি চুমুকের স্বাথে এক সুতেজ গন্ধ পাওয়া যায় যা গ্রীষ্মকালের গরম থেকে শরীরকে তাজা ও চনমনে রাখতে সাহায্য করে। যেহেতু জারণ করে তৈরি, তাই এই পানীয়ে থাকে ভরপুর প্রোবায়োটিক, যা পেটের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। এ ছাড়া ওই শরবতের বাকি উপাদানগুলিও হজমশক্তি বৃদ্ধি করে।
==উপকরন==
{| class="wikitable"
! উপকরন !! পরিমান
|-
| ভাত || ১ কাপ
|-
| দই || ৩ টেবিল চামচ
|-
| আম আদা || দেড় গাট মাপ
|-
| লেবু পাতা || ৮-১০টি
|-
| কারিপাতা || ১৪-১৫টি
|-
| কাঁচালঙ্কা || ৪-৫টি
|-
| লেবুর চাকতি || ৫-৬টি (আড়াআড়ি করে কাটা)
|-
| লেবু || অর্ধেকটি
|-
| ভাজা জিরে গুঁড়ো || ১/২ টেবিল চামচ
|-
| নুন || স্বাদমতো
|-
| জল || প্রয়োজনমতো
|}
== রন্ধনপ্রণালী ==
# একটি পরিষ্কার মাটির বা যেকোনও পাত্রে ভাত জলে ভিজিয়ে ঢেকে রাখুন অন্তত ২০ ঘণ্টা।
# সময় হলে ঢাকনা খুলে পরিষ্কার হাতে জলের সঙ্গে ভাত ভালোভাবে চটকে নিন, তারপর জল ছেঁকে নিন। একেই বলা হয় তোরানি
# এবার হামানদিস্তায় আম আদা, কাঁচালঙ্কা, ৫-৬টি লেবু পাতা ও কারিপাতা দিয়ে ভালোভাবে ছেঁচে নিন।
# তোরানির মধ্যে প্রথমে দই মেশান এবং ভালোভাবে গুলে নিন।
# এরপর তাতে ছেঁচে রাখা মশলা, অর্ধেক লেবুর রস, ভাজা জিরে গুঁড়ো, লেবুর চাকতিগুলো এবং বাকি লেবুপাতা দিয়ে দিন।
# পরিষ্কার হাতে তোরানির মধ্যে দেওয়া সমস্ত উপকরণ ভালোভাবে চেপে মেশান যাতে সুগন্ধ পানীয়ে ভালোভাবে মিশে যায়।
# প্রয়োজনে পরিমাণ মতো জল দিন।<span style=color:red;><center>'''মাটির ভাঁড়ে ঠান্ডা ঠান্ডা পরিবেশন করুন টঙ্কা তোরানি'''</center></span>
{{বর্ণানুক্রমিক|ট}}
[[বিষয়শ্রেণী:রন্ধনপ্রণালী]]
[[বিষয়শ্রেণী:পানীয়]]
9t8ogtwg70q5ea3mxq3hd3z29piky5e
রন্ধনপ্রণালী:খস খস শরবত
104
25539
84676
79541
2025-06-17T23:26:50Z
Mehedi Abedin
7113
Mehedi Abedin [[রন্ধনপ্রনালী:খস খস শরবত]] কে [[রন্ধনপ্রণালী:খস খস শরবত]] শিরোনামে স্থানান্তর করেছেন
79541
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = পানীয়
| পরিবেশন = পরিমান অনুসারে, কমপক্ষে ২ জন।
| তৈরির সময় = ১০ মিনিট
| কষ্টসাধ্য = ৩
| চিত্র =
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''খস খস শরবত'''</big></center>
বাঙালী হেঁসেলের জনপ্রিয় ও সুপরিচিত উপাদান পোস্তো ভারতের অন্যান্য অঞ্চলে ''খস খস'' নামে পরিচিত। শরীর ঠান্ডা করতে পোাস্তর গুনাবলীর বিষয়ে বঙ্গোপসাগর থেকে আরবসাগরের তীরের বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষজন পরিচিত। আরবসাগর তীরের কোঙ্কন উপকূলে শরীর ঠান্ডা রাখার প্রস্তুত হয় এক বিশেষ পানীয় যা হল ''খস খস শরবত'' বা পোস্তর শরবত। বাঙালিদের মতোই কোঙ্কন উপকূলেও নানা রান্নায় পোস্ত ব্যাবহার করার চল আছে। কোঙ্কন উপকূলের এই পোস্তের শরবতের ইতিহাস বেশ প্রাচীন। এ শরবত বহু যুগ ধরে সেই অঞ্চলের লোকেরা পান করে আসছে। গোয়া, মহারাষ্ট্রের পশ্চিম উপকূল, এমনকি কর্নাটকেরও কিছু কিছু অঞ্চলেও এই শরবত পরিচিত। পোস্তর শরবত সেই অঞ্চলে গরমকালের এক দীর্ঘ আরামদায়ী ও স্বাস্থ্যকর পানীয়।আরামের সঙ্গে প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণও জোগায় খস খস শরবত। এই শরবত স্থানীয় অঞ্চলে ''খস খস রস'' বা ''খস খস উধা'' নামেও পরিচিত। বাড়িতে সামান্য কয়েকটি উপকরণের সাহায্যে সহজেই বানিয়ে ফেলা যায় এই খস খস শরবত।
==উপকরন==
{| class="wikitable"
! উপকরন !! পরিমান
|-
| পোস্ত || ১/২ কাপ
|-
| নারকেল কোরা || ১/২ কাপ
|-
| ছোট এলাচ || ৩টি
|-
| গুড়ের গুঁড়ো || ১/২ কাপ (স্বাদ অনুযায়ী কম-বেশি)
|-
| দারচিনির গুঁড়ো || ১ চা চামচ
|-
| গোলাপের পাপড়ি || কয়েকটি (সাজানোর জন্য, ঐচ্ছিক)
|}
== রন্ধনপ্রণালী ==
#প্রথমে পোস্ত জলে ভিজিয়ে রাখুন অন্তত ৩০ মিনিট।
৩এরপর মিক্সারে ভেজানো পোস্ত, নারকেল কোরা, ছোট এলাচ, গুড় এবং এক কাপ জল দিয়ে ভালোভাবে বেটে নিন।
#বাটা মিশ্রণটি একটি পাত্রে ঢালুন এবং প্রয়োজনমতো জল মিশিয়ে ভালোভাবে নাড়ুন।
#শরবতটি ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করুন।
#ঠান্ডা হয়ে গেলে গ্লাসে ঢেলে উপরে দারচিনির গুঁড়ো অথবা গোলাপের পাপড়ি ছড়িয়ে সাজিয়ে দিন।<span style=color:red;><center>'''ঠান্ডা ঠান্ডা পরিবেশন করুন খস খস শরবত'''</center></span>
==তথ্যসূত্র==
*[https://www.anandabazar.com/recipes/a-traditional-indian-summer-drink-made-with-poppy-seeds-to-cool-your-body-and-mind-named-khus-khus-sharbat-dgtl/cid/1605567]]
[[বিষয়শ্রেণী:রন্ধনপ্রণালী]]
[[বিষয়শ্রেণী:পানীয়]]
bh5bf3sms3h3hborut5k0xvgprqhf3s
84797
84676
2025-06-18T08:07:40Z
Mehedi Abedin
7113
84797
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = পানীয়
| পরিবেশন = পরিমান অনুসারে, কমপক্ষে ২ জন।
| তৈরির সময় = ১০ মিনিট
| কষ্টসাধ্য = ৩
| চিত্র =
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''খস খস শরবত'''</big></center>
বাঙালী হেঁসেলের জনপ্রিয় ও সুপরিচিত উপাদান পোস্তো ভারতের অন্যান্য অঞ্চলে ''খস খস'' নামে পরিচিত। শরীর ঠান্ডা করতে পোাস্তর গুনাবলীর বিষয়ে বঙ্গোপসাগর থেকে আরবসাগরের তীরের বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষজন পরিচিত। আরবসাগর তীরের কোঙ্কন উপকূলে শরীর ঠান্ডা রাখার প্রস্তুত হয় এক বিশেষ পানীয় যা হল ''খস খস শরবত'' বা পোস্তর শরবত। বাঙালিদের মতোই কোঙ্কন উপকূলেও নানা রান্নায় পোস্ত ব্যাবহার করার চল আছে। কোঙ্কন উপকূলের এই পোস্তের শরবতের ইতিহাস বেশ প্রাচীন। এ শরবত বহু যুগ ধরে সেই অঞ্চলের লোকেরা পান করে আসছে। গোয়া, মহারাষ্ট্রের পশ্চিম উপকূল, এমনকি কর্নাটকেরও কিছু কিছু অঞ্চলেও এই শরবত পরিচিত। পোস্তর শরবত সেই অঞ্চলে গরমকালের এক দীর্ঘ আরামদায়ী ও স্বাস্থ্যকর পানীয়। আরামের সঙ্গে প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণও জোগায় খস খস শরবত। এই শরবত স্থানীয় অঞ্চলে ''খস খস রস'' বা ''খস খস উধা'' নামেও পরিচিত। বাড়িতে সামান্য কয়েকটি উপকরণের সাহায্যে সহজেই বানিয়ে ফেলা যায় এই খস খস শরবত।
==উপকরন==
{| class="wikitable"
! উপকরন !! পরিমান
|-
| পোস্ত || ১/২ কাপ
|-
| নারকেল কোরা || ১/২ কাপ
|-
| ছোট এলাচ || ৩টি
|-
| গুড়ের গুঁড়ো || ১/২ কাপ (স্বাদ অনুযায়ী কম-বেশি)
|-
| দারচিনির গুঁড়ো || ১ চা চামচ
|-
| গোলাপের পাপড়ি || কয়েকটি (সাজানোর জন্য, ঐচ্ছিক)
|}
== রন্ধনপ্রণালী ==
#প্রথমে পোস্ত জলে ভিজিয়ে রাখুন অন্তত ৩০ মিনিট।
৩এরপর মিক্সারে ভেজানো পোস্ত, নারকেল কোরা, ছোট এলাচ, গুড় এবং এক কাপ জল দিয়ে ভালোভাবে বেটে নিন।
#বাটা মিশ্রণটি একটি পাত্রে ঢালুন এবং প্রয়োজনমতো জল মিশিয়ে ভালোভাবে নাড়ুন।
#শরবতটি ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করুন।
#ঠান্ডা হয়ে গেলে গ্লাসে ঢেলে উপরে দারচিনির গুঁড়ো অথবা গোলাপের পাপড়ি ছড়িয়ে সাজিয়ে দিন।<span style=color:red;><center>'''ঠান্ডা ঠান্ডা পরিবেশন করুন খস খস শরবত'''</center></span>
==তথ্যসূত্র==
*[https://www.anandabazar.com/recipes/a-traditional-indian-summer-drink-made-with-poppy-seeds-to-cool-your-body-and-mind-named-khus-khus-sharbat-dgtl/cid/1605567]]
[[বিষয়শ্রেণী:রন্ধনপ্রণালী]]
[[বিষয়শ্রেণী:পানীয়]]
ri2fxtmzwcndzbna8bt56ywakdokv3r
84798
84797
2025-06-18T08:11:17Z
Mehedi Abedin
7113
84798
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = পানীয়
| পরিবেশন = পরিমান অনুসারে, কমপক্ষে ২ জন।
| তৈরির সময় = ১০ মিনিট
| কষ্টসাধ্য = ৩
| চিত্র =
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''খস খস শরবত'''</big></center>
বাঙালী হেঁসেলের জনপ্রিয় ও সুপরিচিত উপাদান পোস্তো ভারতের অন্যান্য অঞ্চলে ''খস খস'' নামে পরিচিত। শরীর ঠান্ডা করতে পোাস্তর গুনাবলীর বিষয়ে বঙ্গোপসাগর থেকে আরবসাগরের তীরের বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষজন পরিচিত। আরবসাগর তীরের কোঙ্কন উপকূলে শরীর ঠান্ডা রাখার প্রস্তুত হয় এক বিশেষ পানীয় যা হল ''খস খস শরবত'' বা পোস্তর শরবত। বাঙালিদের মতোই কোঙ্কন উপকূলেও নানা রান্নায় পোস্ত ব্যাবহার করার চল আছে। কোঙ্কন উপকূলের এই পোস্তের শরবতের ইতিহাস বেশ প্রাচীন। এ শরবত বহু যুগ ধরে সেই অঞ্চলের লোকেরা পান করে আসছে। গোয়া, মহারাষ্ট্রের পশ্চিম উপকূল, এমনকি কর্নাটকেরও কিছু কিছু অঞ্চলেও এই শরবত পরিচিত। পোস্তর শরবত সেই অঞ্চলে গরমকালের এক দীর্ঘ আরামদায়ী ও স্বাস্থ্যকর পানীয়। আরামের সঙ্গে প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণও জোগায় খস খস শরবত। এই শরবত স্থানীয় অঞ্চলে ''খস খস রস'' বা ''খস খস উধা'' নামেও পরিচিত। বাড়িতে সামান্য কয়েকটি উপকরণের সাহায্যে সহজেই বানিয়ে ফেলা যায় এই খস খস শরবত।
==উপকরন==
{| class="wikitable"
! উপকরন !! পরিমান
|-
| পোস্ত || ১/২ কাপ
|-
| নারকেল কোরা || ১/২ কাপ
|-
| ছোট এলাচ || ৩টি
|-
| গুড়ের গুঁড়ো || ১/২ কাপ (স্বাদ অনুযায়ী কম-বেশি)
|-
| দারচিনির গুঁড়ো || ১ চা চামচ
|-
| গোলাপের পাপড়ি || কয়েকটি (সাজানোর জন্য, ঐচ্ছিক)
|}
== রন্ধনপ্রণালী ==
#প্রথমে পোস্ত জলে ভিজিয়ে রাখুন অন্তত ৩০ মিনিট।
#এরপর মিক্সারে ভেজানো পোস্ত, নারকেল কোরা, ছোট এলাচ, গুড় এবং এক কাপ জল দিয়ে ভালোভাবে বেটে নিন।
#বাটা মিশ্রণটি একটি পাত্রে ঢালুন এবং প্রয়োজনমতো জল মিশিয়ে ভালোভাবে নাড়ুন।
#শরবতটি ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করুন।
#ঠান্ডা হয়ে গেলে গ্লাসে ঢেলে উপরে দারচিনির গুঁড়ো অথবা গোলাপের পাপড়ি ছড়িয়ে সাজিয়ে দিন।<span style=color:red;><center>'''ঠান্ডা ঠান্ডা পরিবেশন করুন খস খস শরবত'''</center></span>
==তথ্যসূত্র==
*[https://www.anandabazar.com/recipes/a-traditional-indian-summer-drink-made-with-poppy-seeds-to-cool-your-body-and-mind-named-khus-khus-sharbat-dgtl/cid/1605567]]
[[বিষয়শ্রেণী:রন্ধনপ্রণালী]]
[[বিষয়শ্রেণী:পানীয়]]
i3p77ar830kd4xgt4t8qtok3ort5js0
84799
84798
2025-06-18T08:11:27Z
Mehedi Abedin
7113
84799
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = পানীয়
| পরিবেশন = পরিমান অনুসারে, কমপক্ষে ২ জন।
| তৈরির সময় = ১০ মিনিট
| কষ্টসাধ্য = ৩
| চিত্র =
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''খস খস শরবত'''</big></center>
বাঙালী হেঁসেলের জনপ্রিয় ও সুপরিচিত উপাদান পোস্তো ভারতের অন্যান্য অঞ্চলে ''খস খস'' নামে পরিচিত। শরীর ঠান্ডা করতে পোাস্তর গুনাবলীর বিষয়ে বঙ্গোপসাগর থেকে আরবসাগরের তীরের বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষজন পরিচিত। আরবসাগর তীরের কোঙ্কন উপকূলে শরীর ঠান্ডা রাখার প্রস্তুত হয় এক বিশেষ পানীয় যা হল ''খস খস শরবত'' বা পোস্তর শরবত। বাঙালিদের মতোই কোঙ্কন উপকূলেও নানা রান্নায় পোস্ত ব্যাবহার করার চল আছে। কোঙ্কন উপকূলের এই পোস্তের শরবতের ইতিহাস বেশ প্রাচীন। এ শরবত বহু যুগ ধরে সেই অঞ্চলের লোকেরা পান করে আসছে। গোয়া, মহারাষ্ট্রের পশ্চিম উপকূল, এমনকি কর্নাটকেরও কিছু কিছু অঞ্চলেও এই শরবত পরিচিত। পোস্তর শরবত সেই অঞ্চলে গরমকালের এক দীর্ঘ আরামদায়ী ও স্বাস্থ্যকর পানীয়। আরামের সঙ্গে প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণও জোগায় খস খস শরবত। এই শরবত স্থানীয় অঞ্চলে ''খস খস রস'' বা ''খস খস উধা'' নামেও পরিচিত। বাড়িতে সামান্য কয়েকটি উপকরণের সাহায্যে সহজেই বানিয়ে ফেলা যায় এই খস খস শরবত।
==উপকরন==
{| class="wikitable"
! উপকরন !! পরিমান
|-
| পোস্ত || ১/২ কাপ
|-
| নারকেল কোরা || ১/২ কাপ
|-
| ছোট এলাচ || ৩টি
|-
| গুড়ের গুঁড়ো || ১/২ কাপ (স্বাদ অনুযায়ী কম-বেশি)
|-
| দারচিনির গুঁড়ো || ১ চা চামচ
|-
| গোলাপের পাপড়ি || কয়েকটি (সাজানোর জন্য, ঐচ্ছিক)
|}
== রন্ধনপ্রণালী ==
#প্রথমে পোস্ত জলে ভিজিয়ে রাখুন অন্তত ৩০ মিনিট।
#এরপর মিক্সারে ভেজানো পোস্ত, নারকেল কোরা, ছোট এলাচ, গুড় এবং এক কাপ জল দিয়ে ভালোভাবে বেটে নিন।
#বাটা মিশ্রণটি একটি পাত্রে ঢালুন এবং প্রয়োজনমতো জল মিশিয়ে ভালোভাবে নাড়ুন।
#শরবতটি ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করুন।
#ঠান্ডা হয়ে গেলে গ্লাসে ঢেলে উপরে দারচিনির গুঁড়ো অথবা গোলাপের পাপড়ি ছড়িয়ে সাজিয়ে দিন।<span style=color:red;><center>'''ঠান্ডা ঠান্ডা পরিবেশন করুন খস খস শরবত'''</center></span>
[[বিষয়শ্রেণী:রন্ধনপ্রণালী]]
[[বিষয়শ্রেণী:পানীয়]]
lhedxf6r6vgpbzyf2ow8iopbpvla58h
84800
84799
2025-06-18T08:12:15Z
Mehedi Abedin
7113
84800
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = পানীয়
| পরিবেশন = পরিমান অনুসারে, কমপক্ষে ২ জন।
| তৈরির সময় = ১০ মিনিট
| কষ্টসাধ্য = ৩
| চিত্র =
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''খস খস শরবত'''</big></center>
বাঙালী হেঁসেলের জনপ্রিয় ও সুপরিচিত উপাদান পোস্তো ভারতের অন্যান্য অঞ্চলে ''খস খস'' নামে পরিচিত। শরীর ঠান্ডা করতে পোস্তর গুনাবলীর বিষয়ে বঙ্গোপসাগর থেকে আরবসাগরের তীরের বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষজন পরিচিত। আরবসাগর তীরের কোঙ্কন উপকূলে শরীর ঠান্ডা রাখার প্রস্তুত হয় এক বিশেষ পানীয় যা হল ''খস খস শরবত'' বা পোস্তর শরবত। বাঙালিদের মতোই কোঙ্কন উপকূলেও নানা রান্নায় পোস্ত ব্যাবহার করার চল আছে। কোঙ্কন উপকূলের এই পোস্তের শরবতের ইতিহাস বেশ প্রাচীন। এ শরবত বহু যুগ ধরে সেই অঞ্চলের লোকেরা পান করে আসছে। গোয়া, মহারাষ্ট্রের পশ্চিম উপকূল, এমনকি কর্নাটকেরও কিছু কিছু অঞ্চলেও এই শরবত পরিচিত। পোস্তর শরবত সেই অঞ্চলে গরমকালের এক দীর্ঘ আরামদায়ী ও স্বাস্থ্যকর পানীয়। আরামের সঙ্গে প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণও জোগায় খস খস শরবত। এই শরবত স্থানীয় অঞ্চলে ''খস খস রস'' বা ''খস খস উধা'' নামেও পরিচিত। বাড়িতে সামান্য কয়েকটি উপকরণের সাহায্যে সহজেই বানিয়ে ফেলা যায় এই খস খস শরবত।
==উপকরন==
{| class="wikitable"
! উপকরন !! পরিমান
|-
| পোস্ত || ১/২ কাপ
|-
| নারকেল কোরা || ১/২ কাপ
|-
| ছোট এলাচ || ৩টি
|-
| গুড়ের গুঁড়ো || ১/২ কাপ (স্বাদ অনুযায়ী কম-বেশি)
|-
| দারচিনির গুঁড়ো || ১ চা চামচ
|-
| গোলাপের পাপড়ি || কয়েকটি (সাজানোর জন্য, ঐচ্ছিক)
|}
== রন্ধনপ্রণালী ==
#প্রথমে পোস্ত জলে ভিজিয়ে রাখুন অন্তত ৩০ মিনিট।
#এরপর মিক্সারে ভেজানো পোস্ত, নারকেল কোরা, ছোট এলাচ, গুড় এবং এক কাপ জল দিয়ে ভালোভাবে বেটে নিন।
#বাটা মিশ্রণটি একটি পাত্রে ঢালুন এবং প্রয়োজনমতো জল মিশিয়ে ভালোভাবে নাড়ুন।
#শরবতটি ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করুন।
#ঠান্ডা হয়ে গেলে গ্লাসে ঢেলে উপরে দারচিনির গুঁড়ো অথবা গোলাপের পাপড়ি ছড়িয়ে সাজিয়ে দিন।<span style=color:red;><center>'''ঠান্ডা ঠান্ডা পরিবেশন করুন খস খস শরবত'''</center></span>
[[বিষয়শ্রেণী:রন্ধনপ্রণালী]]
[[বিষয়শ্রেণী:পানীয়]]
ls1xqfu6pswu41jynk6p87uwu7w40q5
রন্ধনপ্রণালী:ব্রাউনি
104
25573
84680
79637
2025-06-17T23:28:23Z
Mehedi Abedin
7113
84680
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = মিষ্টান্ন
| পরিবেশন = ৮–১০ টুকরো
| তৈরির সময় = ১ ঘণ্টা
| কষ্টসাধ্য = ২
| খাদ্য শক্তি = উচ্চ
| টীকা = ব্রাউনি একটি জনপ্রিয় ও মুখরোচক মিষ্টান্ন যা চকলেটপ্রেমীদের জন্য স্বর্গতুল্য। এর স্নিগ্ধতা ও কোমলতায় মুখ ভরে যায় আনন্দে।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''ব্রাউনি'''</big></center>
ব্রাউনি এমন এক আধুনিক মিষ্টান্ন, যার উত্পত্তি পশ্চিমা দেশ থেকে হলেও বর্তমানে এটি বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের ঘরে ঘরে প্রিয় হয়ে উঠেছে। চকলেট ও মাখনের সঠিক মিশ্রণে তৈরি এই পদের বাহ্যিক চেহারা যতটা সরল, স্বাদ ততটাই গভীর ও লোভনীয়।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! নাম !! পরিমাণ
|-
| ময়দা || ১ কাপ
|-
| কোকো পাউডার || ১/২ কাপ
|-
| ডার্ক চকলেট (গলানো) || ১ কাপ
|-
| ডিম || ২টি
|-
| চিনি || ৩/৪ কাপ
|-
| মাখন || ১/২ কাপ (গলানো)
|-
| বেকিং পাউডার || ১/২ চা-চামচ
|-
| লবণ || ১ চিমটি
|-
| ভ্যানিলা নির্যাস || ১ চা-চামচ
|-
| বাদাম (ঐচ্ছিক) || ১/৪ কাপ (কুচানো)
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# একটি পাত্রে ডিম ও চিনি ফেটিয়ে নিন যতক্ষণ না মিশ্রণটি হালকা ও ঝকঝকে হয়।
# এতে মাখন ও ভ্যানিলা নির্যাস মেশান।
# এরপর গলানো চকলেট ঢেলে ভালোভাবে মেশান।
# অন্য একটি পাত্রে ময়দা, কোকো পাউডার, বেকিং পাউডার ও লবণ একসঙ্গে ছেঁকে নিন।
# শুকনো উপকরণগুলো ধীরে ধীরে তরল মিশ্রণে মিশিয়ে নিন।
# ইচ্ছা হলে বাদাম যোগ করুন।
# একটি চাটু বা বেকিং ট্রেতে ঘি লাগিয়ে বা কাগজ বিছিয়ে মিশ্রণটি ঢালুন।
# আগে থেকে গরম করা চুলা বা ওভেনে ১৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ২৫–৩০ মিনিট বেক করুন।
# কাঠি ঢুকিয়ে পরীক্ষা করুন – যদি পরিষ্কার বেরিয়ে আসে, তবে ব্রাউনি তৈরি।
== পরিবেশন ==
ঠান্ডা করে টুকরো করে কেটে পরিবেশন করুন। চায়ের সঙ্গে বা ভ্যানিলা স্বাদের আইসক্রিমের পাশে পরিবেশন করলে এর স্বাদ দ্বিগুণ বেড়ে যায়।
== পরামর্শ ==
* গলানো চকলেট না থাকলে শুধু কোকো পাউডার দিয়ে তৈরি করা যায়, তবে স্বাদে কিছুটা পার্থক্য হতে পারে।
* চুলায় বেক করতে চাইলে ঢাকনাওয়ালা পাত্রে নিচে বালি দিয়ে তার ওপর ট্রে বসিয়ে একই সময় বেক করুন।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:মিষ্টান্ন]]
[[Category:আধুনিক খাবার]]
[[Category:চকলেটভিত্তিক খাবার]]
huepomldvn4exbhxpmjbyf7zmg3aosf
84681
84680
2025-06-17T23:29:07Z
Mehedi Abedin
7113
84681
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = মিষ্টান্ন
| পরিবেশন = ৮–১০ টুকরো
| তৈরির সময় = ১ ঘণ্টা
| কষ্টসাধ্য = ২
| খাদ্য শক্তি = উচ্চ
| টীকা = জনপ্রিয় ও মুখরোচক মিষ্টান্ন।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''ব্রাউনি'''</big></center>
ব্রাউনি এমন এক আধুনিক মিষ্টান্ন, যার উৎপত্তি পশ্চিমা দেশ থেকে হলেও বর্তমানে এটি বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের ঘরে ঘরে প্রিয় হয়ে উঠেছে। চকলেট ও মাখনের সঠিক মিশ্রণে তৈরি এই পদের বাহ্যিক চেহারা যতটা সরল, স্বাদ ততটাই কড়া ও লোভনীয়।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! নাম !! পরিমাণ
|-
| ময়দা || ১ কাপ
|-
| কোকো পাউডার || ১/২ কাপ
|-
| ডার্ক চকলেট (গলানো) || ১ কাপ
|-
| ডিম || ২টি
|-
| চিনি || ৩/৪ কাপ
|-
| মাখন || ১/২ কাপ (গলানো)
|-
| বেকিং পাউডার || ১/২ চা-চামচ
|-
| লবণ || ১ চিমটি
|-
| ভ্যানিলা নির্যাস || ১ চা-চামচ
|-
| বাদাম (ঐচ্ছিক) || ১/৪ কাপ (কুচানো)
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# একটি পাত্রে ডিম ও চিনি ফেটিয়ে নিন যতক্ষণ না মিশ্রণটি হালকা ও ঝকঝকে হয়।
# এতে মাখন ও ভ্যানিলা নির্যাস মেশান।
# এরপর গলানো চকলেট ঢেলে ভালোভাবে মেশান।
# অন্য একটি পাত্রে ময়দা, কোকো পাউডার, বেকিং পাউডার ও লবণ একসঙ্গে ছেঁকে নিন।
# শুকনো উপকরণগুলো ধীরে ধীরে তরল মিশ্রণে মিশিয়ে নিন।
# ইচ্ছা হলে বাদাম যোগ করুন।
# একটি চাটু বা বেকিং ট্রেতে ঘি লাগিয়ে বা কাগজ বিছিয়ে মিশ্রণটি ঢালুন।
# আগে থেকে গরম করা চুলা বা ওভেনে ১৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ২৫–৩০ মিনিট বেক করুন।
# কাঠি ঢুকিয়ে পরীক্ষা করুন – যদি পরিষ্কার বেরিয়ে আসে, তবে ব্রাউনি তৈরি।
== পরিবেশন ==
ঠান্ডা করে টুকরো করে কেটে পরিবেশন করুন। চায়ের সঙ্গে বা ভ্যানিলা স্বাদের আইসক্রিমের পাশে পরিবেশন করলে এর স্বাদ দ্বিগুণ বেড়ে যায়।
== পরামর্শ ==
* গলানো চকলেট না থাকলে শুধু কোকো পাউডার দিয়ে তৈরি করা যায়, তবে স্বাদে কিছুটা পার্থক্য হতে পারে।
* চুলায় বেক করতে চাইলে ঢাকনাওয়ালা পাত্রে নিচে বালি দিয়ে তার ওপর ট্রে বসিয়ে একই সময় বেক করুন।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:মিষ্টান্ন]]
[[Category:আধুনিক খাবার]]
[[Category:চকলেটভিত্তিক খাবার]]
ruvfjcn71naqy9igf5hfh87sqpmf73z
84684
84681
2025-06-17T23:38:53Z
Mehedi Abedin
7113
84684
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = মিষ্টান্ন
| পরিবেশন = ৮–১০ টুকরো
| তৈরির সময় = ১ ঘণ্টা
| কষ্টসাধ্য = ২
| খাদ্য শক্তি = উচ্চ
| টীকা = জনপ্রিয় ও মুখরোচক মিষ্টান্ন।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''ব্রাউনি'''</big></center>
ব্রাউনি এমন এক আধুনিক মিষ্টান্ন, যার উৎপত্তি পশ্চিমা দেশ থেকে হলেও বর্তমানে এটি বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের ঘরে ঘরে প্রিয় হয়ে উঠেছে। চকলেট ও মাখনের সঠিক মিশ্রণে তৈরি এই পদের বাহ্যিক চেহারা যতটা সরল, স্বাদ ততটাই কড়া ও লোভনীয়।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! নাম !! পরিমাণ
|-
| ময়দা || ১ কাপ
|-
| কোকো পাউডার || ১/২ কাপ
|-
| ডার্ক চকলেট (গলানো) || ১ কাপ
|-
| ডিম || ২টি
|-
| চিনি || ৩/৪ কাপ
|-
| মাখন || ১/২ কাপ (গলানো)
|-
| বেকিং পাউডার || ১/২ চা-চামচ
|-
| লবণ || ১ চিমটি
|-
| ভ্যানিলা নির্যাস || ১ চা-চামচ
|-
| বাদাম (ঐচ্ছিক) || ১/৪ কাপ (কুচানো)
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# একটি পাত্রে ডিম ও চিনি ফেটিয়ে নিন যতক্ষণ না মিশ্রণটি হালকা ও উজ্বল হয়।
# এতে মাখন ও ভ্যানিলা নির্যাস মেশান।
# এরপর গলানো চকলেট ঢেলে ভালোভাবে মেশান।
# অন্য একটি পাত্রে ময়দা, কোকো পাউডার, বেকিং পাউডার ও লবণ একসঙ্গে ছেঁকে নিন।
# শুকনো উপকরণগুলো ধীরে ধীরে তরল মিশ্রণে মিশিয়ে নিন।
# ইচ্ছা হলে বাদাম যোগ করুন।
# একটি চাটু বা বেকিং ট্রেতে ঘি লাগিয়ে বা কাগজ বিছিয়ে মিশ্রণটি ঢালুন।
# আগে থেকে গরম করা চুলা বা ওভেনে ১৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ২৫–৩০ মিনিট বেক করুন।
# কাঠি ঢুকিয়ে পরীক্ষা করুন – যদি পরিষ্কার বেরিয়ে আসে, তবে ব্রাউনি তৈরি।
== পরিবেশন ==
ঠান্ডা করে টুকরো করে কেটে পরিবেশন করুন। চায়ের সঙ্গে বা ভ্যানিলা স্বাদের আইসক্রিমের পাশে পরিবেশন করলে এর স্বাদ দ্বিগুণ বেড়ে যায়।
== পরামর্শ ==
* গলানো চকলেট না থাকলে শুধু কোকো পাউডার দিয়ে তৈরি করা যায়, তবে স্বাদে কিছুটা পার্থক্য হতে পারে।
* চুলায় বেক করতে চাইলে ঢাকনাওয়ালা পাত্রে নিচে বালি দিয়ে তার ওপর ট্রে বসিয়ে একই সময় বেক করুন।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:মিষ্টান্ন]]
[[Category:আধুনিক খাবার]]
[[Category:চকলেটভিত্তিক খাবার]]
6n0788m3ksfa3jc0w7vsqhlv4y8ak4k
84685
84684
2025-06-17T23:39:21Z
Mehedi Abedin
7113
84685
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = মিষ্টান্ন
| পরিবেশন = ৮–১০ টুকরো
| তৈরির সময় = ১ ঘণ্টা
| কষ্টসাধ্য = ২
| খাদ্য শক্তি = উচ্চ
| টীকা = জনপ্রিয় ও মুখরোচক মিষ্টান্ন।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''ব্রাউনি'''</big></center>
ব্রাউনি এমন এক আধুনিক মিষ্টান্ন, যার উৎপত্তি পশ্চিমা দেশ থেকে হলেও বর্তমানে এটি বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের ঘরে ঘরে প্রিয় হয়ে উঠেছে। চকলেট ও মাখনের সঠিক মিশ্রণে তৈরি এই পদের বাহ্যিক চেহারা যতটা সরল, স্বাদ ততটাই কড়া ও লোভনীয়।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! নাম !! পরিমাণ
|-
| ময়দা || ১ কাপ
|-
| কোকো পাউডার || ১/২ কাপ
|-
| ডার্ক চকলেট (গলানো) || ১ কাপ
|-
| ডিম || ২টি
|-
| চিনি || ৩/৪ কাপ
|-
| মাখন || ১/২ কাপ (গলানো)
|-
| বেকিং পাউডার || ১/২ চা-চামচ
|-
| লবণ || ১ চিমটি
|-
| ভ্যানিলা নির্যাস || ১ চা-চামচ
|-
| বাদাম (ঐচ্ছিক) || ১/৪ কাপ (কুচানো)
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# একটি পাত্রে ডিম ও চিনি ফেটিয়ে নিন যতক্ষণ না মিশ্রণটি হালকা ও উজ্বল হয়।
# এতে মাখন ও ভ্যানিলা নির্যাস মেশান।
# এরপর গলানো চকলেট ঢেলে ভালোভাবে মেশান।
# অন্য একটি পাত্রে ময়দা, কোকো পাউডার, বেকিং পাউডার ও লবণ একসঙ্গে ছেঁকে নিন।
# শুকনো উপকরণগুলো ধীরে ধীরে তরল মিশ্রণে মিশিয়ে নিন।
# ইচ্ছা হলে বাদাম যোগ করুন।
# একটি চাটু বা বেকিং ট্রেতে ঘি লাগিয়ে বা কাগজ বিছিয়ে মিশ্রণটি ঢালুন।
# আগে থেকে গরম করা চুলা বা ওভেনে ১৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ২৫–৩০ মিনিট বেক করুন।
# কাঠি ঢুকিয়ে পরীক্ষা করুন – যদি পরিষ্কার বেরিয়ে আসে, তবে ব্রাউনি তৈরি।
<span style=color:red;><center>'''ঠান্ডা করে টুকরো করে কেটে পরিবেশন করুন।'''</center></span>
== পরামর্শ ==
* গলানো চকলেট না থাকলে শুধু কোকো পাউডার দিয়ে তৈরি করা যায়, তবে স্বাদে কিছুটা পার্থক্য হতে পারে।
* চুলায় বেক করতে চাইলে ঢাকনাওয়ালা পাত্রে নিচে বালি দিয়ে তার ওপর ট্রে বসিয়ে একই সময় বেক করুন।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:মিষ্টান্ন]]
[[Category:আধুনিক খাবার]]
[[Category:চকলেটভিত্তিক খাবার]]
d0yha5i4j281jys4pqx6x0qgs05vgf7
84686
84685
2025-06-17T23:39:50Z
Mehedi Abedin
7113
84686
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = মিষ্টান্ন
| পরিবেশন = ৮–১০ টুকরো
| তৈরির সময় = ১ ঘণ্টা
| কষ্টসাধ্য = ২
| খাদ্য শক্তি = উচ্চ
| টীকা = জনপ্রিয় ও মুখরোচক মিষ্টান্ন।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''ব্রাউনি'''</big></center>
ব্রাউনি এমন এক আধুনিক মিষ্টান্ন, যার উৎপত্তি পশ্চিমা দেশ থেকে হলেও বর্তমানে এটি বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের ঘরে ঘরে প্রিয় হয়ে উঠেছে। চকলেট ও মাখনের সঠিক মিশ্রণে তৈরি এই পদের বাহ্যিক চেহারা যতটা সরল, স্বাদ ততটাই কড়া ও লোভনীয়।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! নাম !! পরিমাণ
|-
| ময়দা || ১ কাপ
|-
| কোকো পাউডার || ১/২ কাপ
|-
| ডার্ক চকলেট (গলানো) || ১ কাপ
|-
| ডিম || ২টি
|-
| চিনি || ৩/৪ কাপ
|-
| মাখন || ১/২ কাপ (গলানো)
|-
| বেকিং পাউডার || ১/২ চা-চামচ
|-
| লবণ || ১ চিমটি
|-
| ভ্যানিলা নির্যাস || ১ চা-চামচ
|-
| বাদাম (ঐচ্ছিক) || ১/৪ কাপ (কুচানো)
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# একটি পাত্রে ডিম ও চিনি ফেটিয়ে নিন যতক্ষণ না মিশ্রণটি হালকা ও উজ্বল হয়।
# এতে মাখন ও ভ্যানিলা নির্যাস মেশান।
# এরপর গলানো চকলেট ঢেলে ভালোভাবে মেশান।
# অন্য একটি পাত্রে ময়দা, কোকো পাউডার, বেকিং পাউডার ও লবণ একসঙ্গে ছেঁকে নিন।
# শুকনো উপকরণগুলো ধীরে ধীরে তরল মিশ্রণে মিশিয়ে নিন।
# ইচ্ছা হলে বাদাম যোগ করুন।
# একটি চাটু বা বেকিং ট্রেতে ঘি লাগিয়ে বা কাগজ বিছিয়ে মিশ্রণটি ঢালুন।
# আগে থেকে গরম করা চুলা বা ওভেনে ১৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ২৫–৩০ মিনিট বেক করুন।
# কাঠি ঢুকিয়ে পরীক্ষা করুন – যদি পরিষ্কার বেরিয়ে আসে, তবে ব্রাউনি তৈরি।
<span style=color:red;><center>'''ঠান্ডা করে টুকরো করে কেটে পরিবেশন করুন।'''</center></span>
== পরামর্শ ==
* গলানো চকলেট না থাকলে শুধু কোকো পাউডার দিয়ে তৈরি করা যায়, তবে স্বাদে কিছুটা পার্থক্য হতে পারে।
* চুলায় বেক করতে চাইলে ঢাকনাওয়ালা পাত্রে নিচে বালি দিয়ে তার ওপর ট্রে বসিয়ে একই সময় ধরে বেক করুন।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:মিষ্টান্ন]]
[[Category:আধুনিক খাবার]]
[[Category:চকলেটভিত্তিক খাবার]]
83yusmhvfxe3tmjsb8pmh3yuq40s0ux
রন্ধনপ্রণালী:মাঠা
104
25574
84687
79639
2025-06-17T23:40:49Z
Mehedi Abedin
7113
84687
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = পানীয়
| পরিবেশন = ৪–৫ গ্লাস
| তৈরির সময় = ১৫ মিনিট
| কষ্টসাধ্য = ১
| খাদ্য শক্তি = কম
| টীকা = ঐতিহ্যবাহী বাঙালি পানীয় যা গরমের দিনে প্রশান্তি এনে দেয় এবং হজমে সহায়তা করে।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''মাঠা'''</big></center>
মাঠা একটি টকদই থেকে তৈরি ঠান্ডা ও সুস্বাদু পানীয়, যা মূলত খাবারের পরে পরিবেশন করা হয় হজমে সাহায্য করার জন্য। গ্রামাঞ্চলে মাঠা অনেক জনপ্রিয় এবং গরমকালে এটি এক অনন্য উপাদান হয়ে ওঠে। মাঠার স্বাদ টক, মসলা ও লবণের ছোঁয়ায় আরও পরিপূর্ণ হয়।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! নাম !! পরিমাণ
|-
| টকদই || ১ কাপ
|-
| ঠান্ডা জল || ২ কাপ
|-
| পোড়া জিরার গুঁড়া || ১ চা-চামচ
|-
| বিট লবণ || ১/২ চা-চামচ (স্বাদমতো)
|-
| ধনে পাতা কুচি || ১ টেবিল-চামচ
|-
| কাঁচা লঙ্কা কুচি || ১/২ চা-চামচ (ঐচ্ছিক)
|-
| বরফ কুচি || ইচ্ছামতো
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# টকদই একটি বড় পাত্রে নিয়ে ভালভাবে ফেটিয়ে নিন যাতে কোনো দলা না থাকে।
# তাতে ঠান্ডা জল ধীরে ধীরে মিশিয়ে দিন এবং নাড়তে থাকুন।
# এরপর পোড়া জিরার গুঁড়া, বিট লবণ, কাঁচা লঙ্কা কুচি ও ধনে পাতা কুচি দিয়ে মিশিয়ে নিন।
# ভালোভাবে মেশানোর পর বরফ কুচি দিয়ে ঠান্ডা করে পরিবেশন করুন।
== পরিবেশন ==
মাঠা ঠান্ডা অবস্থায় পরিবেশন করুন দুপুরের খাবারের পরে। এটি হজমে সাহায্য করে ও শরীর ঠান্ডা রাখে।
== পরামর্শ ==
* আপনি চাইলে কিছুটা চিনি যোগ করে হালকা মিষ্টি মাঠাও তৈরি করতে পারেন।
* কাঁচা লঙ্কা ও ধনে পাতার পরিমাণ স্বাদ অনুযায়ী নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
== স্বাস্থ্য উপকারিতা ও ঝুঁকি ==
মাঠা হজম শক্তি বাড়ায়, শরীর ঠান্ডা রাখে এবং গরমে প্রশান্তি দেয়। এতে ক্যালরি কম এবং প্রাকৃতিক উপাদান থাকায় এটি একটি স্বাস্থ্যকর পানীয়। যাদের টক দই হজমে সমস্যা করে, তারা সাবধানে গ্রহণ করবেন।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:বাংলাদেশি পানীয়]]
[[Category:গ্রীষ্মকালীন খাবার]]
[[Category:ঐতিহ্যবাহী পানীয়]]
qowz3t6f546r67nq2jwa3bfnva6ycc4
84688
84687
2025-06-17T23:41:45Z
Mehedi Abedin
7113
84688
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = পানীয়
| পরিবেশন = ৪–৫ গ্লাস
| তৈরির সময় = ১৫ মিনিট
| কষ্টসাধ্য = ১
| খাদ্য শক্তি = কম
| টীকা = ঐতিহ্যবাহী বাঙালি পানীয় যা গরমের দিনে প্রশান্তি এনে দেয় এবং হজমে সহায়তা করে।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''মাঠা'''</big></center>
মাঠা একটি টকদই থেকে তৈরি ঠান্ডা ও সুস্বাদু পানীয়, যা মূলত খাবারের পরে পরিবেশন করা হয় হজমে সাহায্য করার জন্য। গ্রামাঞ্চলে মাঠা অনেক জনপ্রিয় এবং গরমকালে এটি এক অনন্য উপাদান হয়ে ওঠে। মাঠার স্বাদ টক, মসলা ও লবণের ছোঁয়ায় আরও পরিপূর্ণ হয়।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! নাম !! পরিমাণ
|-
| টকদই || ১ কাপ
|-
| ঠান্ডা জল || ২ কাপ
|-
| পোড়া জিরার গুঁড়া || ১ চা-চামচ
|-
| বিট লবণ || ১/২ চা-চামচ (স্বাদমতো)
|-
| ধনে পাতা কুচি || ১ টেবিল-চামচ
|-
| কাঁচা লঙ্কা কুচি || ১/২ চা-চামচ (ঐচ্ছিক)
|-
| বরফ কুচি || ইচ্ছামতো
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# টকদই একটি বড় পাত্রে নিয়ে ভালভাবে ফেটিয়ে নিন যাতে কোনো দলা না থাকে।
# তাতে ঠান্ডা জল ধীরে ধীরে মিশিয়ে দিন এবং নাড়তে থাকুন।
# এরপর পোড়া জিরার গুঁড়া, বিট লবণ, কাঁচা লঙ্কা কুচি ও ধনে পাতা কুচি দিয়ে মিশিয়ে নিন।
# ভালোভাবে মেশানোর পর বরফ কুচি দিয়ে ঠান্ডা করে পরিবেশন করুন।
<span style=color:red;><center>'''ঠান্ডা অবস্থায় পরিবেশন করুন।'''</center></span>
== পরামর্শ ==
* আপনি চাইলে কিছুটা চিনি যোগ করে হালকা মিষ্টি মাঠাও তৈরি করতে পারেন।
* কাঁচা লঙ্কা ও ধনে পাতার পরিমাণ স্বাদ অনুযায়ী নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
== স্বাস্থ্য উপকারিতা ও ঝুঁকি ==
মাঠা হজম শক্তি বাড়ায়, শরীর ঠান্ডা রাখে এবং গরমে প্রশান্তি দেয়। এতে ক্যালরি কম এবং প্রাকৃতিক উপাদান থাকায় এটি একটি স্বাস্থ্যকর পানীয়। যাদের টক দই হজমে সমস্যা করে, তারা সাবধানে গ্রহণ করবেন।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:বাংলাদেশি পানীয়]]
[[Category:গ্রীষ্মকালীন খাবার]]
[[Category:ঐতিহ্যবাহী পানীয়]]
fd34ykp16noa8iequrcqeeh2spqll7n
84689
84688
2025-06-17T23:42:04Z
Mehedi Abedin
7113
84689
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = পানীয়
| পরিবেশন = ৪–৫ গ্লাস
| তৈরির সময় = ১৫ মিনিট
| কষ্টসাধ্য = ১
| খাদ্য শক্তি = কম
| টীকা = ঐতিহ্যবাহী বাঙালি পানীয় যা গরমের দিনে প্রশান্তি এনে দেয় এবং হজমে সহায়তা করে।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''মাঠা'''</big></center>
মাঠা একটি টকদই থেকে তৈরি ঠান্ডা ও সুস্বাদু পানীয়, যা মূলত খাবারের পরে পরিবেশন করা হয় হজমে সাহায্য করার জন্য। গ্রামাঞ্চলে মাঠা অনেক জনপ্রিয় এবং গরমকালে এটি এক অনন্য উপাদান হয়ে ওঠে। মাঠার স্বাদ টক, মসলা ও লবণের ছোঁয়ায় আরও পরিপূর্ণ হয়।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! নাম !! পরিমাণ
|-
| টকদই || ১ কাপ
|-
| ঠান্ডা জল || ২ কাপ
|-
| পোড়া জিরার গুঁড়া || ১ চা-চামচ
|-
| বিট লবণ || ১/২ চা-চামচ (স্বাদমতো)
|-
| ধনে পাতা কুচি || ১ টেবিল-চামচ
|-
| কাঁচা লঙ্কা কুচি || ১/২ চা-চামচ (ঐচ্ছিক)
|-
| বরফ কুচি || ইচ্ছামতো
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# টকদই একটি বড় পাত্রে নিয়ে ভালভাবে ফেটিয়ে নিন যাতে কোনো দলা না থাকে।
# তাতে ঠান্ডা জল ধীরে ধীরে মিশিয়ে দিন এবং নাড়তে থাকুন।
# এরপর পোড়া জিরার গুঁড়া, বিট লবণ, কাঁচা লঙ্কা কুচি ও ধনে পাতা কুচি দিয়ে মিশিয়ে নিন।
# ভালোভাবে মেশানোর পর বরফ কুচি দিয়ে ঠান্ডা করে পরিবেশন করুন।
<span style=color:red;><center>'''ঠান্ডা অবস্থায় পরিবেশন করুন।'''</center></span>
== পরামর্শ ==
* আপনি চাইলে কিছুটা চিনি যোগ করে হালকা মিষ্টি মাঠাও তৈরি করতে পারেন।
* কাঁচা লঙ্কা ও ধনে পাতার পরিমাণ স্বাদ অনুযায়ী নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:বাংলাদেশি পানীয়]]
[[Category:গ্রীষ্মকালীন খাবার]]
[[Category:ঐতিহ্যবাহী পানীয়]]
fxa2jrnhxb08tvwigwqzqstwvqcs472
রন্ধনপ্রণালী:পেস্তা হালুয়া
104
25643
84692
84268
2025-06-17T23:43:11Z
Mehedi Abedin
7113
84692
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = মিষ্টান্ন
| পরিবেশন = ৬–৮ জন
| তৈরির সময় = ১ ঘণ্টা
| কষ্টসাধ্য = ৪
| খাদ্য শক্তি = উচ্চ
| টীকা = অভিজাত মিষ্টান্ন, যা পেস্তা বাদাম ও দুধের সমন্বয়ে তৈরি হয় এবং উৎসব ও বিশেষ উপলক্ষে পরিবেশনের জন্য উপযুক্ত।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''পেস্তা হালুয়া'''</big></center>
পেস্তা হালুয়া একটি সুগন্ধি ও বাদামি স্বাদের সমৃদ্ধ মিষ্টান্ন। ভারতীয় উপমহাদেশের রাজকীয় খাবারগুলোর মধ্যে এটি অন্যতম। মূল উপাদান হিসেবে ব্যবহার হয় পেস্তা বাদাম, দুধ ও খোয়া ক্ষীর। এর রং, ঘ্রাণ ও স্বাদ একে করে তোলে ভিন্নমাত্রার একটি খাবার, যা বিশেষ উৎসবে কিংবা অতিথি আপ্যায়নে পরিবেশিত হয়।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! নাম !! পরিমাণ
|-
| পেস্তা বাদাম || ১ কাপ
|-
| খোয়া ক্ষীর || ১ কাপ
|-
| তরল দুধ || ১ কাপ
|-
| চিনি || ১/২ কাপ (স্বাদমতো)
|-
| ঘি || ১/২ কাপ
|-
| এলাচ গুঁড়া || ১/২ চা-চামচ
|-
| জাফরান || কয়েকটি সুতো (ঐচ্ছিক)
|-
| পেস্তা কুচি || সাজানোর জন্য
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# প্রথমে পেস্তা বাদাম ১ ঘণ্টা ভিজিয়ে খোসা ছাড়িয়ে নিন এবং ব্লেন্ডারে অল্প দুধ দিয়ে ভর্তা বানিয়ে নিন।
# কড়ায় ঘি গরম করে পেস্তার পেস্ট দিয়ে দিন এবং মাঝারি আঁচে নাড়তে থাকুন যতক্ষণ না কাঁচা গন্ধ চলে যায়।
# এবার খোয়া ক্ষীর ও চিনি দিয়ে নেড়ে নিন।
# ধীরে ধীরে দুধ মিশিয়ে দিন এবং ঘন না হওয়া পর্যন্ত নাড়তে থাকুন।
# এলাচ গুঁড়া ও জাফরান যোগ করে ভালোভাবে মিশিয়ে দিন।
# মিশ্রণটি ঘন হয়ে হালুয়ার মতো হলে চুলা থেকে নামিয়ে একটি চিকন ঘিয়াক্ত ট্রেতে ঢেলে দিন।
# উপরে পেস্তা কুচি ছড়িয়ে ঠান্ডা হতে দিন।
# ঠান্ডা হলে পছন্দমতো আকারে কেটে পরিবেশন করুন।
== পরিবেশন ==
পেস্তা হালুয়া ঠান্ডা অবস্থায় পরিবেশন করাই উত্তম। এটি উৎসব, বিবাহ অনুষ্ঠান, কিংবা অতিথি আপ্যায়নে পরিবেশনের জন্য উপযুক্ত একটি রাজকীয় মিষ্টান্ন।
== পরামর্শ ==
* চাইলে ঘন দুধ ব্যবহার করে স্বাদ আরও সমৃদ্ধ করা যায়।
* জাফরান ব্যবহার করলে ঘ্রাণ ও রং আরও আকর্ষণীয় হয়, তবে না থাকলেও চলবে।
[[Category:মিষ্টান্ন]]
[[Category:বাদাম জাতীয় খাবার]]
[[Category:ঐতিহ্যবাহী খাবার]]
go0wswyooq9x9qrh8lplodqjvdnx40w
84693
84692
2025-06-17T23:44:39Z
Mehedi Abedin
7113
84693
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = মিষ্টান্ন
| পরিবেশন = ৬–৮ জন
| তৈরির সময় = ১ ঘণ্টা
| কষ্টসাধ্য = ৪
| খাদ্য শক্তি = উচ্চ
| টীকা = অভিজাত মিষ্টান্ন, যা পেস্তা বাদাম ও দুধের সমন্বয়ে তৈরি হয় এবং উৎসব ও বিশেষ উপলক্ষে পরিবেশনের জন্য উপযুক্ত।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''পেস্তা হালুয়া'''</big></center>
পেস্তা হালুয়া একটি সুগন্ধি ও বাদামি স্বাদের সমৃদ্ধ মিষ্টান্ন। ভারতীয় উপমহাদেশের রাজকীয় খাবারগুলোর মধ্যে এটি অন্যতম। মূল উপাদান হিসেবে ব্যবহার হয় পেস্তা বাদাম, দুধ ও খোয়া ক্ষীর। এর রং, ঘ্রাণ ও স্বাদ একে করে তোলে ভিন্নমাত্রার একটি খাবার, যা বিশেষ উৎসবে কিংবা অতিথি আপ্যায়নে পরিবেশিত হয়।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! নাম !! পরিমাণ
|-
| পেস্তা বাদাম || ১ কাপ
|-
| খোয়া ক্ষীর || ১ কাপ
|-
| তরল দুধ || ১ কাপ
|-
| চিনি || ১/২ কাপ (স্বাদমতো)
|-
| ঘি || ১/২ কাপ
|-
| এলাচ গুঁড়া || ১/২ চা-চামচ
|-
| জাফরান || কয়েকটি সুতো (ঐচ্ছিক)
|-
| পেস্তা কুচি || সাজানোর জন্য
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# প্রথমে পেস্তা বাদাম ১ ঘণ্টা ভিজিয়ে খোসা ছাড়িয়ে নিন এবং ব্লেন্ডারে অল্প দুধ দিয়ে ভর্তা বানিয়ে নিন।
# কড়ায় ঘি গরম করে পেস্তার পেস্ট দিয়ে দিন এবং মাঝারি আঁচে নাড়তে থাকুন যতক্ষণ না কাঁচা গন্ধ চলে যায়।
# এবার খোয়া ক্ষীর ও চিনি দিয়ে নেড়ে নিন।
# ধীরে ধীরে দুধ মিশিয়ে দিন এবং ঘন না হওয়া পর্যন্ত নাড়তে থাকুন।
# এলাচ গুঁড়া ও জাফরান যোগ করে ভালোভাবে মিশিয়ে দিন।
# মিশ্রণটি ঘন হয়ে হালুয়ার মতো হলে চুলা থেকে নামিয়ে একটি চিকন ঘি মাখানো ট্রেতে ঢেলে দিন।
# উপরে পেস্তা কুচি ছড়িয়ে ঠান্ডা হতে দিন।
<span style=color:red;><center>'''ঠান্ডা হলে পছন্দমতো আকারে কেটে পরিবেশন করুন।'''</center></span>
== পরিবেশন ==
পেস্তা হালুয়া ঠান্ডা অবস্থায় পরিবেশন করাই উত্তম। এটি উৎসব, বিবাহ অনুষ্ঠান, কিংবা অতিথি আপ্যায়নে পরিবেশনের জন্য উপযুক্ত একটি রাজকীয় মিষ্টান্ন।
== পরামর্শ ==
* চাইলে ঘন দুধ ব্যবহার করে স্বাদ আরও সমৃদ্ধ করা যায়।
* জাফরান ব্যবহার করলে ঘ্রাণ ও রং আরও আকর্ষণীয় হয়, তবে না থাকলেও চলবে।
[[Category:মিষ্টান্ন]]
[[Category:বাদাম জাতীয় খাবার]]
[[Category:ঐতিহ্যবাহী খাবার]]
bghors4shhc6t6m23lmb33lrc519sef
84694
84693
2025-06-17T23:44:49Z
Mehedi Abedin
7113
84694
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = মিষ্টান্ন
| পরিবেশন = ৬–৮ জন
| তৈরির সময় = ১ ঘণ্টা
| কষ্টসাধ্য = ৪
| খাদ্য শক্তি = উচ্চ
| টীকা = অভিজাত মিষ্টান্ন, যা পেস্তা বাদাম ও দুধের সমন্বয়ে তৈরি হয় এবং উৎসব ও বিশেষ উপলক্ষে পরিবেশনের জন্য উপযুক্ত।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''পেস্তা হালুয়া'''</big></center>
পেস্তা হালুয়া একটি সুগন্ধি ও বাদামি স্বাদের সমৃদ্ধ মিষ্টান্ন। ভারতীয় উপমহাদেশের রাজকীয় খাবারগুলোর মধ্যে এটি অন্যতম। মূল উপাদান হিসেবে ব্যবহার হয় পেস্তা বাদাম, দুধ ও খোয়া ক্ষীর। এর রং, ঘ্রাণ ও স্বাদ একে করে তোলে ভিন্নমাত্রার একটি খাবার, যা বিশেষ উৎসবে কিংবা অতিথি আপ্যায়নে পরিবেশিত হয়।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! নাম !! পরিমাণ
|-
| পেস্তা বাদাম || ১ কাপ
|-
| খোয়া ক্ষীর || ১ কাপ
|-
| তরল দুধ || ১ কাপ
|-
| চিনি || ১/২ কাপ (স্বাদমতো)
|-
| ঘি || ১/২ কাপ
|-
| এলাচ গুঁড়া || ১/২ চা-চামচ
|-
| জাফরান || কয়েকটি সুতো (ঐচ্ছিক)
|-
| পেস্তা কুচি || সাজানোর জন্য
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# প্রথমে পেস্তা বাদাম ১ ঘণ্টা ভিজিয়ে খোসা ছাড়িয়ে নিন এবং ব্লেন্ডারে অল্প দুধ দিয়ে ভর্তা বানিয়ে নিন।
# কড়ায় ঘি গরম করে পেস্তার পেস্ট দিয়ে দিন এবং মাঝারি আঁচে নাড়তে থাকুন যতক্ষণ না কাঁচা গন্ধ চলে যায়।
# এবার খোয়া ক্ষীর ও চিনি দিয়ে নেড়ে নিন।
# ধীরে ধীরে দুধ মিশিয়ে দিন এবং ঘন না হওয়া পর্যন্ত নাড়তে থাকুন।
# এলাচ গুঁড়া ও জাফরান যোগ করে ভালোভাবে মিশিয়ে দিন।
# মিশ্রণটি ঘন হয়ে হালুয়ার মতো হলে চুলা থেকে নামিয়ে একটি চিকন ঘি মাখানো ট্রেতে ঢেলে দিন।
# উপরে পেস্তা কুচি ছড়িয়ে ঠান্ডা হতে দিন।
<span style=color:red;><center>'''ঠান্ডা হলে পছন্দমতো আকারে কেটে পরিবেশন করুন।'''</center></span>
== পরামর্শ ==
* চাইলে ঘন দুধ ব্যবহার করে স্বাদ আরও সমৃদ্ধ করা যায়।
* জাফরান ব্যবহার করলে ঘ্রাণ ও রং আরও আকর্ষণীয় হয়, তবে না থাকলেও চলবে।
[[Category:মিষ্টান্ন]]
[[Category:বাদাম জাতীয় খাবার]]
[[Category:ঐতিহ্যবাহী খাবার]]
l1ckozhyau907yom849gxsv8h9orc0s
রন্ধনপ্রণালী:আচারি চিকেন
104
25645
84695
79981
2025-06-17T23:46:57Z
Mehedi Abedin
7113
84695
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = মাংসের পদ
| পরিবেশন = ৫–৬ জন
| তৈরির সময় = ১ ঘণ্টা ৩০ মিনিট
| কষ্টসাধ্য = ৩
| খাদ্য শক্তি = উচ্চ
| টীকা = আচার জাতীয় মসলার সঙ্গে মুরগির মাংসের অনবদ্য সংমিশ্রণ থেকে তৈরি একটি সুস্বাদু ও ঝাল পদ।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''আচারি চিকেন'''</big></center>
আচারি চিকেন মুরগির এমন একটি রান্না যা আমাদের ঐতিহ্যবাহী আচার ও মসলার স্বাদের সঙ্গে মিশে এক নতুন মাত্রা পায়। এতে সরিষার তেল, শুকনো মরিচ, কালোজিরা, মৌরি, এবং মেথি গুঁড়োর মতো বিশেষ আচারী মসলার ব্যবহার মাংসকে অনন্য টকঝাল ও সুগন্ধি স্বাদ দেয়। এই রন্ধনপ্রণালী বাড়িতে সহজেই তৈরি করা যায় এবং উৎসব, অতিথি আপ্যায়নে বেশ জনপ্রিয়।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! নাম !! পরিমাণ
|-
| মুরগির মাংস (হাড়সহ) || ১ কেজি
|-
| টক দই || ১ কাপ
|-
| পেঁয়াজ কুচি || ১ কাপ
|-
| রসুন বাটা || ১ টেবিল চামচ
|-
| আদা বাটা || ১ টেবিল চামচ
|-
| টমেটোর পেস্ট || ১/২ কাপ
|-
| শুকনো মরিচ গুঁড়ো || ১ চা চামচ
|-
| ধনে গুঁড়ো || ১ চা চামচ
|-
| জিরা গুঁড়ো || ১/২ চা চামচ
|-
| হলুদ গুঁড়ো || ১/২ চা চামচ
|-
| মেথি গুঁড়ো || ১ চা চামচ
|-
| মৌরি গুঁড়ো || ১ চা চামচ
|-
| কালোজিরা গুঁড়ো || ১ চা চামচ
|-
| সরিষার তেল || ১/২ কাপ
|-
| লবণ || স্বাদমতো
|-
| কাঁচা মরিচ || ৫–৬টি (ফালি করা)
|-
| ধনে পাতা || পরিমাণমতো (সাজানোর জন্য)
|-
| লেবুর রস || ১ টেবিল চামচ (ঐচ্ছিক)
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# প্রথমেই একটি বড় পাত্রে মুরগির টুকরোগুলো নিয়ে তাতে টক দই, আদা-রসুন বাটা, লবণ, শুকনো মরিচ গুঁড়ো দিয়ে ভালোভাবে মাখিয়ে অন্তত ১ ঘণ্টা আলাদা রাখুন যাতে মাংস নরম হয় ও মসলার স্বাদ গেঁথে যায়।
# একটি বড় হাঁড়ি বা পাতলা বোতলের পাত্রে সরিষার তেল গরম করুন। তেলের গন্ধ বেরোতে শুরু করলে এতে মেথি, মৌরি, কালোজিরা গুঁড়ো একসঙ্গে মিশিয়ে হালকা আঁচে ভাজুন যতক্ষণ না মসলাগুলো ভিজে ফুলে উঠে।
# মসলার মিশ্রণে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে সোনালি বাদামি হওয়া পর্যন্ত ভাজুন। এতে রান্নায় অতিরিক্ত তেল ব্যবহার এড়ানো যায় এবং স্বাদ বেড়ে যায়।
# এবার টমেটো ভাটা দিয়ে ভালভাবে কষিয়ে নিন যতক্ষণ না তেল পৃষ্ঠে উঠে আসে।
# এর মধ্যে মসলায় মাখানো মুরগির টুকরোগুলো ঢেলে দিন এবং উচ্চ আঁচে দ্রুত নাড়তে থাকুন যাতে মাংসের রং বদলে যায় ও মসলার সঙ্গে মিশে যায়।
# এরপর আঁচ কমিয়ে ঢাকনা দিয়ে প্রায় ৩০-৪০ মিনিট রান্না করুন মাঝে মাঝে নাড়তে থাকুন, প্রয়োজনে সামান্য পানি যোগ করুন যেন মাংস পুড়ে না যায়।
# রান্নার শেষ দিকে ফালি করা কাঁচা মরিচ ও লেবুর রস যোগ করুন, যা স্বাদে এক অতুলনীয় টকঝাল ভাব এনে দেয়।
# ধনে পাতা ছড়িয়ে ঢাকনা খুলে কিছুক্ষণ ঢিমে আঁচে রেখে দিন।
== পরিবেশন ==
গরম গরম আচারী চিকেন গরম ভাত বা পরোটা সঙ্গে পরিবেশন করুন। বিশেষ অতিথি আপ্যায়ন বা পারিবারিক খাবারে এটি অত্যন্ত জনপ্রিয়। সঙ্গে ঠান্ডা দই বা সালাদ থাকলে স্বাদ বেড়ে যায়।
== অতিরিক্ত তথ্য ও পরামর্শ ==
* মুরগির সঙ্গে সরিষার তেলের অনন্য সংমিশ্রণ এই পদটিকে বিশেষ করে তোলে। সরিষার তেলের বদলে সাদামাটা তেল ব্যবহার করলে স্বাদ কমে যায়।
* মেথি, মৌরি, কালোজিরার গুঁড়ো বেশি না দিলে স্বাদ ঠিক থাকে এবং ঝালতাও নিয়ন্ত্রণে থাকে।
* রান্নার সময় মাঝেমধ্যে ঢাকনা খুলে দেখে নিন যেন মাংস ভালোভাবে সেদ্ধ হচ্ছে কিনা।
* লেবুর রস দেওয়ার আগে অবশ্যই মাংসের স্বাদ পরীক্ষা করে নিন, কারন কেউ কেউ বেশি টক স্বাদ পছন্দ নাও করতে পারেন।
* যদি দ্রুত রান্না করতে চান, তাহলে মুরগি ছোট ছোট টুকরো করে নিন এবং দ্রুত রান্নার জন্য চাপা হাঁড়ি ব্যবহার করতে পারেন।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:মুরগির পদ]]
6ohl4evnlf4gpqrzigx4dez0h46svs2
84696
84695
2025-06-17T23:47:31Z
Mehedi Abedin
7113
84696
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = মাংসের পদ
| পরিবেশন = ৫–৬ জন
| তৈরির সময় = ১ ঘণ্টা ৩০ মিনিট
| কষ্টসাধ্য = ৩
| খাদ্য শক্তি = উচ্চ
| টীকা = আচার জাতীয় মসলার সঙ্গে মুরগির মাংসের অনবদ্য সংমিশ্রণ থেকে তৈরি একটি সুস্বাদু ও ঝাল পদ।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''আচারি চিকেন'''</big></center>
আচারি চিকেন মুরগির এমন একটি রান্না যা আমাদের ঐতিহ্যবাহী আচার ও মসলার স্বাদের সঙ্গে মিশে এক নতুন মাত্রা পায়। এতে সরিষার তেল, শুকনো মরিচ, কালোজিরা, মৌরি, এবং মেথি গুঁড়োর মতো বিশেষ আচারী মসলার ব্যবহার মাংসকে অনন্য টকঝাল ও সুগন্ধি স্বাদ দেয়। এই রন্ধনপ্রণালী বাড়িতে সহজেই তৈরি করা যায় এবং উৎসব, অতিথি আপ্যায়নে বেশ জনপ্রিয়।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! নাম !! পরিমাণ
|-
| মুরগির মাংস (হাড়সহ) || ১ কেজি
|-
| টক দই || ১ কাপ
|-
| পেঁয়াজ কুচি || ১ কাপ
|-
| রসুন বাটা || ১ টেবিল চামচ
|-
| আদা বাটা || ১ টেবিল চামচ
|-
| টমেটোর পেস্ট || ১/২ কাপ
|-
| শুকনো মরিচ গুঁড়ো || ১ চা চামচ
|-
| ধনে গুঁড়ো || ১ চা চামচ
|-
| জিরা গুঁড়ো || ১/২ চা চামচ
|-
| হলুদ গুঁড়ো || ১/২ চা চামচ
|-
| মেথি গুঁড়ো || ১ চা চামচ
|-
| মৌরি গুঁড়ো || ১ চা চামচ
|-
| কালোজিরা গুঁড়ো || ১ চা চামচ
|-
| সরিষার তেল || ১/২ কাপ
|-
| লবণ || স্বাদমতো
|-
| কাঁচা মরিচ || ৫–৬টি (ফালি করা)
|-
| ধনে পাতা || পরিমাণমতো (সাজানোর জন্য)
|-
| লেবুর রস || ১ টেবিল চামচ (ঐচ্ছিক)
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# প্রথমেই একটি বড় পাত্রে মুরগির টুকরোগুলো নিয়ে তাতে টক দই, আদা-রসুন বাটা, লবণ, শুকনো মরিচ গুঁড়ো দিয়ে ভালোভাবে মাখিয়ে অন্তত ১ ঘণ্টা আলাদা রাখুন যাতে মাংস নরম হয় ও মসলার স্বাদ গেঁথে যায়।
# একটি বড় হাঁড়ি বা পাতলা বোতলের পাত্রে সরিষার তেল গরম করুন। তেলের গন্ধ বেরোতে শুরু করলে এতে মেথি, মৌরি, কালোজিরা গুঁড়ো একসঙ্গে মিশিয়ে হালকা আঁচে ভাজুন যতক্ষণ না মসলাগুলো ভিজে ফুলে উঠে।
# মসলার মিশ্রণে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে সোনালি বাদামি হওয়া পর্যন্ত ভাজুন। এতে রান্নায় অতিরিক্ত তেল ব্যবহার এড়ানো যায় এবং স্বাদ বেড়ে যায়।
# এবার টমেটো ভাটা দিয়ে ভালভাবে কষিয়ে নিন যতক্ষণ না তেল পৃষ্ঠে উঠে আসে।
# এর মধ্যে মসলায় মাখানো মুরগির টুকরোগুলো ঢেলে দিন এবং উচ্চ আঁচে দ্রুত নাড়তে থাকুন যাতে মাংসের রং বদলে যায় ও মসলার সঙ্গে মিশে যায়।
# এরপর আঁচ কমিয়ে ঢাকনা দিয়ে প্রায় ৩০-৪০ মিনিট রান্না করুন মাঝে মাঝে নাড়তে থাকুন, প্রয়োজনে সামান্য পানি যোগ করুন যেন মাংস পুড়ে না যায়।
# রান্নার শেষ দিকে ফালি করা কাঁচা মরিচ ও লেবুর রস যোগ করুন, যা স্বাদে এক অতুলনীয় টকঝাল ভাব এনে দেয়।
# ধনে পাতা ছড়িয়ে ঢাকনা খুলে কিছুক্ষণ ঢিমে আঁচে রেখে দিন।
<span style=color:red;><center>'''গরম গরম গরম ভাত বা পরোটার সঙ্গে পরিবেশন করুন।'''</center></span>
== অতিরিক্ত তথ্য ও পরামর্শ ==
* মুরগির সঙ্গে সরিষার তেলের অনন্য সংমিশ্রণ এই পদটিকে বিশেষ করে তোলে। সরিষার তেলের বদলে সাদামাটা তেল ব্যবহার করলে স্বাদ কমে যায়।
* মেথি, মৌরি, কালোজিরার গুঁড়ো বেশি না দিলে স্বাদ ঠিক থাকে এবং ঝালতাও নিয়ন্ত্রণে থাকে।
* রান্নার সময় মাঝেমধ্যে ঢাকনা খুলে দেখে নিন যেন মাংস ভালোভাবে সেদ্ধ হচ্ছে কিনা।
* লেবুর রস দেওয়ার আগে অবশ্যই মাংসের স্বাদ পরীক্ষা করে নিন, কারন কেউ কেউ বেশি টক স্বাদ পছন্দ নাও করতে পারেন।
* যদি দ্রুত রান্না করতে চান, তাহলে মুরগি ছোট ছোট টুকরো করে নিন এবং দ্রুত রান্নার জন্য চাপা হাঁড়ি ব্যবহার করতে পারেন।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:মুরগির পদ]]
4f44mfuhaq11ttu9j1sqe5dw7751je9
84697
84696
2025-06-17T23:48:03Z
Mehedi Abedin
7113
84697
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = মাংসের পদ
| পরিবেশন = ৫–৬ জন
| তৈরির সময় = ১ ঘণ্টা ৩০ মিনিট
| কষ্টসাধ্য = ৩
| খাদ্য শক্তি = উচ্চ
| টীকা = আচার জাতীয় মসলার সঙ্গে মুরগির মাংসের অনবদ্য সংমিশ্রণ থেকে তৈরি একটি সুস্বাদু ও ঝাল পদ।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''আচারি চিকেন'''</big></center>
আচারি চিকেন মুরগির এমন একটি রান্না যা আমাদের ঐতিহ্যবাহী আচার ও মসলার স্বাদের সঙ্গে মিশে এক নতুন মাত্রা পায়। এতে সরিষার তেল, শুকনো মরিচ, কালোজিরা, মৌরি, এবং মেথি গুঁড়োর মতো বিশেষ আচারি মসলার ব্যবহার মাংসকে অনন্য টকঝাল ও সুগন্ধি স্বাদ দেয়। এই রন্ধনপ্রণালী বাড়িতে সহজেই তৈরি করা যায় এবং উৎসব, অতিথি আপ্যায়নে বেশ জনপ্রিয়।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! নাম !! পরিমাণ
|-
| মুরগির মাংস (হাড়সহ) || ১ কেজি
|-
| টক দই || ১ কাপ
|-
| পেঁয়াজ কুচি || ১ কাপ
|-
| রসুন বাটা || ১ টেবিল চামচ
|-
| আদা বাটা || ১ টেবিল চামচ
|-
| টমেটোর পেস্ট || ১/২ কাপ
|-
| শুকনো মরিচ গুঁড়ো || ১ চা চামচ
|-
| ধনে গুঁড়ো || ১ চা চামচ
|-
| জিরা গুঁড়ো || ১/২ চা চামচ
|-
| হলুদ গুঁড়ো || ১/২ চা চামচ
|-
| মেথি গুঁড়ো || ১ চা চামচ
|-
| মৌরি গুঁড়ো || ১ চা চামচ
|-
| কালোজিরা গুঁড়ো || ১ চা চামচ
|-
| সরিষার তেল || ১/২ কাপ
|-
| লবণ || স্বাদমতো
|-
| কাঁচা মরিচ || ৫–৬টি (ফালি করা)
|-
| ধনে পাতা || পরিমাণমতো (সাজানোর জন্য)
|-
| লেবুর রস || ১ টেবিল চামচ (ঐচ্ছিক)
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# প্রথমেই একটি বড় পাত্রে মুরগির টুকরোগুলো নিয়ে তাতে টক দই, আদা-রসুন বাটা, লবণ, শুকনো মরিচ গুঁড়ো দিয়ে ভালোভাবে মাখিয়ে অন্তত ১ ঘণ্টা আলাদা রাখুন যাতে মাংস নরম হয় ও মসলার স্বাদ গেঁথে যায়।
# একটি বড় হাঁড়ি বা পাতলা বোতলের পাত্রে সরিষার তেল গরম করুন। তেলের গন্ধ বেরোতে শুরু করলে এতে মেথি, মৌরি, কালোজিরা গুঁড়ো একসঙ্গে মিশিয়ে হালকা আঁচে ভাজুন যতক্ষণ না মসলাগুলো ভিজে ফুলে উঠে।
# মসলার মিশ্রণে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে সোনালি বাদামি হওয়া পর্যন্ত ভাজুন। এতে রান্নায় অতিরিক্ত তেল ব্যবহার এড়ানো যায় এবং স্বাদ বেড়ে যায়।
# এবার টমেটো ভাটা দিয়ে ভালভাবে কষিয়ে নিন যতক্ষণ না তেল পৃষ্ঠে উঠে আসে।
# এর মধ্যে মসলায় মাখানো মুরগির টুকরোগুলো ঢেলে দিন এবং উচ্চ আঁচে দ্রুত নাড়তে থাকুন যাতে মাংসের রং বদলে যায় ও মসলার সঙ্গে মিশে যায়।
# এরপর আঁচ কমিয়ে ঢাকনা দিয়ে প্রায় ৩০-৪০ মিনিট রান্না করুন মাঝে মাঝে নাড়তে থাকুন, প্রয়োজনে সামান্য পানি যোগ করুন যেন মাংস পুড়ে না যায়।
# রান্নার শেষ দিকে ফালি করা কাঁচা মরিচ ও লেবুর রস যোগ করুন, যা স্বাদে এক অতুলনীয় টকঝাল ভাব এনে দেয়।
# ধনে পাতা ছড়িয়ে ঢাকনা খুলে কিছুক্ষণ ঢিমে আঁচে রেখে দিন।
<span style=color:red;><center>'''গরম গরম গরম ভাত বা পরোটার সঙ্গে পরিবেশন করুন।'''</center></span>
== অতিরিক্ত তথ্য ও পরামর্শ ==
* মুরগির সঙ্গে সরিষার তেলের অনন্য সংমিশ্রণ এই পদটিকে বিশেষ করে তোলে। সরিষার তেলের বদলে সাদামাটা তেল ব্যবহার করলে স্বাদ কমে যায়।
* মেথি, মৌরি, কালোজিরার গুঁড়ো বেশি না দিলে স্বাদ ঠিক থাকে এবং ঝালতাও নিয়ন্ত্রণে থাকে।
* রান্নার সময় মাঝেমধ্যে ঢাকনা খুলে দেখে নিন যেন মাংস ভালোভাবে সেদ্ধ হচ্ছে কিনা।
* লেবুর রস দেওয়ার আগে অবশ্যই মাংসের স্বাদ পরীক্ষা করে নিন, কারন কেউ কেউ বেশি টক স্বাদ পছন্দ নাও করতে পারেন।
* যদি দ্রুত রান্না করতে চান, তাহলে মুরগি ছোট ছোট টুকরো করে নিন এবং দ্রুত রান্নার জন্য চাপা হাঁড়ি ব্যবহার করতে পারেন।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:মুরগির পদ]]
a2j8g8t4zl39d7h266mmcwt6d2zdcms
84698
84697
2025-06-17T23:49:28Z
Mehedi Abedin
7113
84698
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = মাংসের পদ
| পরিবেশন = ৫–৬ জন
| তৈরির সময় = ১ ঘণ্টা ৩০ মিনিট
| কষ্টসাধ্য = ৩
| খাদ্য শক্তি = উচ্চ
| টীকা = আচার জাতীয় মসলার সঙ্গে মুরগির মাংসের অনবদ্য সংমিশ্রণ থেকে তৈরি একটি সুস্বাদু ও ঝাল পদ।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''আচারি চিকেন'''</big></center>
আচারি চিকেন মুরগির এমন একটি রান্না যা আমাদের ঐতিহ্যবাহী আচার ও মসলার স্বাদের সঙ্গে মিশে এক নতুন মাত্রা পায়। এতে সরিষার তেল, শুকনো মরিচ, কালোজিরা, মৌরি, এবং মেথি গুঁড়োর মতো বিশেষ আচারি মসলার ব্যবহার মাংসকে অনন্য টকঝাল ও সুগন্ধি স্বাদ দেয়। এই রন্ধনপ্রণালী বাড়িতে সহজেই তৈরি করা যায় এবং উৎসব, অতিথি আপ্যায়নে বেশ জনপ্রিয়।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! নাম !! পরিমাণ
|-
| মুরগির মাংস (হাড়সহ) || ১ কেজি
|-
| টক দই || ১ কাপ
|-
| পেঁয়াজ কুচি || ১ কাপ
|-
| রসুন বাটা || ১ টেবিল চামচ
|-
| আদা বাটা || ১ টেবিল চামচ
|-
| টমেটোর পেস্ট || ১/২ কাপ
|-
| শুকনো মরিচ গুঁড়ো || ১ চা চামচ
|-
| ধনে গুঁড়ো || ১ চা চামচ
|-
| জিরা গুঁড়ো || ১/২ চা চামচ
|-
| হলুদ গুঁড়ো || ১/২ চা চামচ
|-
| মেথি গুঁড়ো || ১ চা চামচ
|-
| মৌরি গুঁড়ো || ১ চা চামচ
|-
| কালোজিরা গুঁড়ো || ১ চা চামচ
|-
| সরিষার তেল || ১/২ কাপ
|-
| লবণ || স্বাদমতো
|-
| কাঁচা মরিচ || ৫–৬টি (ফালি করা)
|-
| ধনে পাতা || পরিমাণমতো (সাজানোর জন্য)
|-
| লেবুর রস || ১ টেবিল চামচ (ঐচ্ছিক)
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# প্রথমেই একটি বড় পাত্রে মুরগির টুকরোগুলো নিয়ে তাতে টক দই, আদা-রসুন বাটা, লবণ, শুকনো মরিচ গুঁড়ো দিয়ে ভালোভাবে মাখিয়ে অন্তত ১ ঘণ্টা আলাদা রাখুন যাতে মাংস নরম হয় ও মসলার স্বাদ গেঁথে যায়।
# একটি বড় হাঁড়ি বা পাতলা বোতলের পাত্রে সরিষার তেল গরম করুন। তেলের গন্ধ বেরোতে শুরু করলে এতে মেথি, মৌরি, কালোজিরা গুঁড়ো একসঙ্গে মিশিয়ে হালকা আঁচে ভাজুন যতক্ষণ না মসলাগুলো ভিজে ফুলে উঠে।
# মসলার মিশ্রণে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে সোনালি বাদামি হওয়া পর্যন্ত ভাজুন। এতে রান্নায় অতিরিক্ত তেল ব্যবহার এড়ানো যায় এবং স্বাদ বেড়ে যায়।
# এবার টমেটো ভাটা দিয়ে ভালভাবে কষিয়ে নিন যতক্ষণ না তেল পৃষ্ঠে উঠে আসে।
# এর মধ্যে মসলায় মাখানো মুরগির টুকরোগুলো ঢেলে দিন এবং উচ্চ আঁচে দ্রুত নাড়তে থাকুন যাতে মাংসের রং বদলে যায় ও মসলার সঙ্গে মিশে যায়।
# এরপর আঁচ কমিয়ে ঢাকনা দিয়ে প্রায় ৩০-৪০ মিনিট রান্না করুন মাঝে মাঝে নাড়তে থাকুন, প্রয়োজনে সামান্য পানি যোগ করুন যেন মাংস পুড়ে না যায়।
# রান্নার শেষ দিকে ফালি করা কাঁচা মরিচ ও লেবুর রস যোগ করুন, যা স্বাদে এক অতুলনীয় টকঝাল ভাব এনে দেয়।
# ধনে পাতা ছড়িয়ে ঢাকনা খুলে কিছুক্ষণ ঢিমে আঁচে রেখে দিন।
<span style=color:red;><center>'''গরম গরম গরম ভাত বা পরোটার সঙ্গে পরিবেশন করুন।'''</center></span>
== অতিরিক্ত তথ্য ও পরামর্শ ==
* মুরগির সঙ্গে সরিষার তেলের অনন্য সংমিশ্রণ এই পদটিকে বিশেষ করে তোলে। সরিষার তেলের বদলে সাদামাটা তেল ব্যবহার করলে স্বাদ কমে যায়।
* মেথি, মৌরি, কালোজিরার গুঁড়ো বেশি না দিলে স্বাদ ঠিক থাকে এবং ঝালও নিয়ন্ত্রণে থাকে।
* রান্নার সময় মাঝেমধ্যে ঢাকনা খুলে দেখে নিন যেন মাংস ভালোভাবে সেদ্ধ হচ্ছে কিনা।
* লেবুর রস দেওয়ার আগে অবশ্যই মাংসের স্বাদ পরীক্ষা করে নিন, কারণ কেউ কেউ বেশি টক স্বাদ পছন্দ নাও করতে পারেন।
* যদি দ্রুত রান্না করতে চান, তাহলে মুরগি ছোট ছোট টুকরো করে নিন এবং দ্রুত রান্নার জন্য চাপা হাঁড়ি ব্যবহার করতে পারেন।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:মুরগির পদ]]
143mtdro9ain4binwha5tyl7sl7e6ar
রন্ধনপ্রণালী:কর্নডগ
104
25647
84699
79988
2025-06-17T23:50:27Z
Mehedi Abedin
7113
84699
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = জলখাবার
| পরিবেশন = ৪–৫ জন
| তৈরির সময় = ৪৫ মিনিট
| কষ্টসাধ্য = ৩
| খাদ্য শক্তি = উচ্চ
| টীকা = কর্নডগ হলো একটি মুখরোচক নাস্তা যা হটডগ সসেজকে ভুট্টার আটা ও মসলাদার খামী দিয়ে মোড়ানো অবস্থায় তেলে ভেজে তৈরি করা হয়।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''কর্নডগ'''</big></center>
কর্নডগ এমন একটি পশ্চিমা নাস্তা যা বর্তমানে আমাদের দেশেও জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে শিশুদের কাছে এটি খুবই পছন্দের একটি খাবার। এতে ব্যবহৃত হয় সসেজ, যা ভুট্টার আটা, ময়দা এবং কিছু মসলা দিয়ে তৈরি খামীতে ডুবিয়ে তেলে ভেজে নেওয়া হয়। বাহ্যিকভাবে এটি মচমচে এবং ভেতরে থাকে কোমল ও রসালো সসেজ।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! নাম !! পরিমাণ
|-
| হটডগ সসেজ || ৮–১০টি
|-
| ভুট্টার আটা (কর্নমিল) || ১ কাপ
|-
| ময়দা || ১/২ কাপ
|-
| বেকিং পাউডার || ১ চা চামচ
|-
| ডিম || ১টি
|-
| তরল দুধ || প্রায় ৩/৪ কাপ (প্রয়োজনে সামান্য কম-বেশি)
|-
| চিনি || ১ টেবিল চামচ
|-
| লবণ || ১/২ চা চামচ
|-
| গোল মরিচ গুঁড়ো || ১/২ চা চামচ
|-
| সরিষার গুঁড়ো (ঐচ্ছিক) || ১/২ চা চামচ
|-
| তেল || ভাজার জন্য
|-
| কাঠি || প্রতিটি সসেজের জন্য একটি করে
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# প্রথমে হটডগ সসেজ গুলো হালকা সেদ্ধ করে নিন (ঐচ্ছিক), তারপর ঠান্ডা করে প্রতিটি সসেজে কাঠি গেঁথে নিন।
# একটি বড় পাত্রে ভুট্টার আটা, ময়দা, বেকিং পাউডার, চিনি, লবণ, গোল মরিচ ও সরিষার গুঁড়ো মিশিয়ে নিন।
# মিশ্রণে ডিম ও দুধ দিয়ে একটি ঘন তরল ব্যাটার তৈরি করুন। ব্যাটার খুব পাতলা বা খুব ঘন যেন না হয়, এমনভাবে মিশিয়ে নিন।
# একটি লম্বা গ্লাসে খামী ঢেলে দিন যাতে কাঠিতে গাঁথা সসেজ সহজে ডুবানো যায়।
# প্রতিটি সসেজ খামীতে ভালোভাবে ডুবিয়ে তুলুন এবং সঙ্গে সঙ্গে গরম তেলে ডুবিয়ে ভাজুন।
# মাঝারি আঁচে ভাজুন যাতে বাইরের অংশটা মচমচে ও ভেতরের সসেজটা গরম থাকে।
# সোনালি রঙ ধারণ করলে তেল থেকে তুলে টিস্যুতে রাখুন।
== পরিবেশন ==
গরম গরম কর্নডগ পরিবেশন করুন কেচাপ, সরিষা সস, বা মেয়োনিজের সঙ্গে। এটি বাচ্চাদের টিফিন বা বিকেলের জলখাবারে দারুণ উপযুক্ত। উৎসব, পিকনিক, বা বাসায় অতিথি আপ্যায়নেও পরিবেশনযোগ্য।
== পরামর্শ ==
* খামীতে একটু ঝাল স্বাদ আনতে চাইলে কাঁচা মরিচের গুঁড়ো বা চিলি ফ্লেক্স মেশানো যেতে পারে।
* ভুট্টার আটা না থাকলে এক কাপ ময়দার সঙ্গে ১ টেবিল চামচ সুজি মিশিয়ে ব্যবহার করা যায়।
* সসেজের বদলে মুরগি বা শাকসবজির বল ব্যবহার করে নিরামিষ কর্নডগও বানানো যায়।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:জলখাবার]]
q6ehql4xhhw3kyzapn9t65gl5t1sveh
84700
84699
2025-06-17T23:50:50Z
Mehedi Abedin
7113
84700
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = জলখাবার
| পরিবেশন = ৪–৫ জন
| তৈরির সময় = ৪৫ মিনিট
| কষ্টসাধ্য = ৩
| খাদ্য শক্তি = উচ্চ
| টীকা = কর্নডগ হলো একটি মুখরোচক নাস্তা যা হটডগ সসেজকে ভুট্টার আটা ও মসলাদার খামী দিয়ে মোড়ানো অবস্থায় তেলে ভেজে তৈরি করা হয়।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''কর্নডগ'''</big></center>
কর্নডগ এমন একটি পশ্চিমা নাস্তা যা বর্তমানে আমাদের দেশেও জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে শিশুদের কাছে এটি খুবই পছন্দের একটি খাবার। এতে ব্যবহৃত হয় সসেজ, যা ভুট্টার আটা, ময়দা এবং কিছু মসলা দিয়ে তৈরি খামীতে ডুবিয়ে তেলে ভেজে নেওয়া হয়। বাহ্যিকভাবে এটি মচমচে এবং ভেতরে থাকে কোমল ও রসালো সসেজ।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! নাম !! পরিমাণ
|-
| হটডগ সসেজ || ৮–১০টি
|-
| ভুট্টার আটা (কর্নমিল) || ১ কাপ
|-
| ময়দা || ১/২ কাপ
|-
| বেকিং পাউডার || ১ চা চামচ
|-
| ডিম || ১টি
|-
| তরল দুধ || প্রায় ৩/৪ কাপ (প্রয়োজনে সামান্য কম-বেশি)
|-
| চিনি || ১ টেবিল চামচ
|-
| লবণ || ১/২ চা চামচ
|-
| গোল মরিচ গুঁড়ো || ১/২ চা চামচ
|-
| সরিষার গুঁড়ো (ঐচ্ছিক) || ১/২ চা চামচ
|-
| তেল || ভাজার জন্য
|-
| কাঠি || প্রতিটি সসেজের জন্য একটি করে
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# প্রথমে হটডগ সসেজ গুলো হালকা সেদ্ধ করে নিন (ঐচ্ছিক), তারপর ঠান্ডা করে প্রতিটি সসেজে কাঠি গেঁথে নিন।
# একটি বড় পাত্রে ভুট্টার আটা, ময়দা, বেকিং পাউডার, চিনি, লবণ, গোল মরিচ ও সরিষার গুঁড়ো মিশিয়ে নিন।
# মিশ্রণে ডিম ও দুধ দিয়ে একটি ঘন তরল ব্যাটার তৈরি করুন। ব্যাটার খুব পাতলা বা খুব ঘন যেন না হয়, এমনভাবে মিশিয়ে নিন।
# একটি লম্বা গ্লাসে খামী ঢেলে দিন যাতে কাঠিতে গাঁথা সসেজ সহজে ডুবানো যায়।
# প্রতিটি সসেজ খামীতে ভালোভাবে ডুবিয়ে তুলুন এবং সঙ্গে সঙ্গে গরম তেলে ডুবিয়ে ভাজুন।
# মাঝারি আঁচে ভাজুন যাতে বাইরের অংশটা মচমচে ও ভেতরের সসেজটা গরম থাকে।
# সোনালি রঙ ধারণ করলে তেল থেকে তুলে টিস্যুতে রাখুন।
<span style=color:red;><center>'''গরম গরম পরিবেশন করুন কেচাপ, সরিষা সস, বা মেয়োনিজের সঙ্গে।'''</center></span>
== পরামর্শ ==
* খামীতে একটু ঝাল স্বাদ আনতে চাইলে কাঁচা মরিচের গুঁড়ো বা চিলি ফ্লেক্স মেশানো যেতে পারে।
* ভুট্টার আটা না থাকলে এক কাপ ময়দার সঙ্গে ১ টেবিল চামচ সুজি মিশিয়ে ব্যবহার করা যায়।
* সসেজের বদলে মুরগি বা শাকসবজির বল ব্যবহার করে নিরামিষ কর্নডগও বানানো যায়।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:জলখাবার]]
rl1n5u3pvxgunn8i84dyo5ls3zb5n80
84701
84700
2025-06-17T23:51:28Z
Mehedi Abedin
7113
84701
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = জলখাবার
| পরিবেশন = ৪–৫ জন
| তৈরির সময় = ৪৫ মিনিট
| কষ্টসাধ্য = ৩
| খাদ্য শক্তি = উচ্চ
| টীকা = একটি মুখরোচক নাস্তা যা হটডগ সসেজকে ভুট্টার আটা ও মসলাদার খামী দিয়ে মোড়ানো অবস্থায় তেলে ভেজে তৈরি করা হয়।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''কর্নডগ'''</big></center>
কর্নডগ এমন একটি পশ্চিমা নাস্তা যা বর্তমানে আমাদের দেশেও জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে শিশুদের কাছে এটি খুবই পছন্দের একটি খাবার। এতে ব্যবহৃত হয় সসেজ, যা ভুট্টার আটা, ময়দা এবং কিছু মসলা দিয়ে তৈরি খামীতে ডুবিয়ে তেলে ভেজে নেওয়া হয়। বাহ্যিকভাবে এটি মচমচে এবং ভেতরে থাকে নরম ও রসালো সসেজ।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! নাম !! পরিমাণ
|-
| হটডগ সসেজ || ৮–১০টি
|-
| ভুট্টার আটা (কর্নমিল) || ১ কাপ
|-
| ময়দা || ১/২ কাপ
|-
| বেকিং পাউডার || ১ চা চামচ
|-
| ডিম || ১টি
|-
| তরল দুধ || প্রায় ৩/৪ কাপ (প্রয়োজনে সামান্য কম-বেশি)
|-
| চিনি || ১ টেবিল চামচ
|-
| লবণ || ১/২ চা চামচ
|-
| গোল মরিচ গুঁড়ো || ১/২ চা চামচ
|-
| সরিষার গুঁড়ো (ঐচ্ছিক) || ১/২ চা চামচ
|-
| তেল || ভাজার জন্য
|-
| কাঠি || প্রতিটি সসেজের জন্য একটি করে
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# প্রথমে হটডগ সসেজ গুলো হালকা সেদ্ধ করে নিন (ঐচ্ছিক), তারপর ঠান্ডা করে প্রতিটি সসেজে কাঠি গেঁথে নিন।
# একটি বড় পাত্রে ভুট্টার আটা, ময়দা, বেকিং পাউডার, চিনি, লবণ, গোল মরিচ ও সরিষার গুঁড়ো মিশিয়ে নিন।
# মিশ্রণে ডিম ও দুধ দিয়ে একটি ঘন তরল ব্যাটার তৈরি করুন। ব্যাটার খুব পাতলা বা খুব ঘন যেন না হয়, এমনভাবে মিশিয়ে নিন।
# একটি লম্বা গ্লাসে খামী ঢেলে দিন যাতে কাঠিতে গাঁথা সসেজ সহজে ডুবানো যায়।
# প্রতিটি সসেজ খামীতে ভালোভাবে ডুবিয়ে তুলুন এবং সঙ্গে সঙ্গে গরম তেলে ডুবিয়ে ভাজুন।
# মাঝারি আঁচে ভাজুন যাতে বাইরের অংশটা মচমচে ও ভেতরের সসেজটা গরম থাকে।
# সোনালি রঙ ধারণ করলে তেল থেকে তুলে টিস্যুতে রাখুন।
<span style=color:red;><center>'''গরম গরম পরিবেশন করুন কেচাপ, সরিষা সস, বা মেয়োনিজের সঙ্গে।'''</center></span>
== পরামর্শ ==
* খামীতে একটু ঝাল স্বাদ আনতে চাইলে কাঁচা মরিচের গুঁড়ো বা চিলি ফ্লেক্স মেশানো যেতে পারে।
* ভুট্টার আটা না থাকলে এক কাপ ময়দার সঙ্গে ১ টেবিল চামচ সুজি মিশিয়ে ব্যবহার করা যায়।
* সসেজের বদলে মুরগি বা শাকসবজির বল ব্যবহার করে নিরামিষ কর্নডগও বানানো যায়।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:জলখাবার]]
b9dyn8dn6tb7a24lxatirone4103x0x
84702
84701
2025-06-17T23:52:31Z
Mehedi Abedin
7113
84702
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = জলখাবার
| পরিবেশন = ৪–৫ জন
| তৈরির সময় = ৪৫ মিনিট
| কষ্টসাধ্য = ৩
| খাদ্য শক্তি = উচ্চ
| টীকা = একটি মুখরোচক নাস্তা যা হটডগ সসেজকে ভুট্টার আটা ও মসলাদার খামী দিয়ে মোড়ানো অবস্থায় তেলে ভেজে তৈরি করা হয়।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''কর্নডগ'''</big></center>
কর্নডগ এমন একটি পশ্চিমা নাস্তা যা বর্তমানে আমাদের দেশেও জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে শিশুদের কাছে এটি খুবই পছন্দের একটি খাবার। এতে ব্যবহৃত হয় সসেজ, যা ভুট্টার আটা, ময়দা এবং কিছু মসলা দিয়ে তৈরি খামীতে ডুবিয়ে তেলে ভেজে নেওয়া হয়। বাহ্যিকভাবে এটি মচমচে এবং ভেতরে থাকে নরম ও রসালো সসেজ।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! নাম !! পরিমাণ
|-
| হটডগ সসেজ || ৮–১০টি
|-
| ভুট্টার আটা (কর্নমিল) || ১ কাপ
|-
| ময়দা || ১/২ কাপ
|-
| বেকিং পাউডার || ১ চা চামচ
|-
| ডিম || ১টি
|-
| তরল দুধ || প্রায় ৩/৪ কাপ (প্রয়োজনে সামান্য কম-বেশি)
|-
| চিনি || ১ টেবিল চামচ
|-
| লবণ || ১/২ চা চামচ
|-
| গোল মরিচ গুঁড়ো || ১/২ চা চামচ
|-
| সরিষার গুঁড়ো (ঐচ্ছিক) || ১/২ চা চামচ
|-
| তেল || ভাজার জন্য
|-
| কাঠি || প্রতিটি সসেজের জন্য একটি করে
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# প্রথমে হটডগ সসেজ গুলো হালকা সেদ্ধ করে নিন (ঐচ্ছিক), তারপর ঠান্ডা করে প্রতিটি সসেজে কাঠি গেঁথে নিন।
# একটি বড় পাত্রে ভুট্টার আটা, ময়দা, বেকিং পাউডার, চিনি, লবণ, গোল মরিচ ও সরিষার গুঁড়ো মিশিয়ে নিন।
# মিশ্রণে ডিম ও দুধ দিয়ে একটি ঘন তরল ব্যাটার তৈরি করুন। ব্যাটার খুব পাতলা বা খুব ঘন যেন না হয়, এমনভাবে মিশিয়ে নিন।
# একটি লম্বা গ্লাসে খামী ঢেলে দিন যাতে কাঠিতে গাঁথা সসেজ সহজে ডুবানো যায়।
# প্রতিটি সসেজ খামীতে ভালোভাবে ডুবিয়ে তুলুন এবং সঙ্গে সঙ্গে গরম তেলে ডুবিয়ে ভাজুন।
# মাঝারি আঁচে ভাজুন যাতে বাইরের অংশটা মচমচে ও ভেতরের সসেজটা গরম থাকে।
# সোনালি রঙ ধারণ করলে তেল থেকে তুলে টিস্যুতে রাখুন।
<span style=color:red;><center>'''গরম গরম পরিবেশন করুন কেচাপ, সরিষা সস, বা মেয়োনিজের সঙ্গে।'''</center></span>
== পরামর্শ ==
* খামীতে একটু ঝাল স্বাদ আনতে চাইলে কাঁচা মরিচের গুঁড়ো বা চিলি ফ্লেক্স মেশানো যেতে পারে।
* ভুট্টার আটা না থাকলে এক কাপ ময়দার সঙ্গে ১ টেবিল চামচ সুজি মিশিয়ে ব্যবহার করা যায়।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:জলখাবার]]
eiv4zwxjs1netzesos0uh6pvuyrdd6j
রন্ধনপ্রণালী:চিকেন দম বিরিয়ানি
104
25648
84705
79990
2025-06-17T23:53:34Z
Mehedi Abedin
7113
84705
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = প্রধান পদ
| পরিবেশন = ৬–৭ জন
| তৈরির সময় = ২ ঘণ্টা
| কষ্টসাধ্য = ৪
| খাদ্য শক্তি = উচ্চ
| টীকা = চিকেন দম বিরিয়ানি একটি পুরনো ও সুগন্ধিযুক্ত ভাত-মাংসের পদ, যেখানে মশলায় মাখানো মুরগি এবং সুগন্ধি বাসমতি চাল স্তরে স্তরে সাজিয়ে দমে রান্না করা হয়।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''চিকেন দম বিরিয়ানি'''</big></center>
চিকেন দম বিরিয়ানি এমন এক রাজকীয় খাবার যা উৎসব, অতিথি আপ্যায়ন, কিংবা বিশেষ দিনের মধ্যাহ্নভোজ বা রাতের খাবারে সম্মানের সঙ্গে পরিবেশিত হয়। সুগন্ধি চাল, টকদইয়ের সঙ্গে মসলা মিশিয়ে রাখা মুরগি, কেওড়া জল, জাফরান, এবং ভাজা পেঁয়াজের সুষম ব্যবহারে এই খাবারটি স্বাদ ও ঘ্রাণে অনন্য। এর “দম” দেওয়ার প্রক্রিয়া একটি ঐতিহ্যবাহী রন্ধন কৌশল, যেখানে সমস্ত উপাদানকে ঢেকে কম আঁচে রান্না করা হয়, যাতে প্রতিটি উপাদান স্বাদে একাত্ম হয়।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! নাম !! পরিমাণ
|-
| মুরগির মাংস || ১ কেজি (মাঝারি টুকরো করা)
|-
| বাসমতি চাল || ১ কেজি
|-
| টকদই || ১ কাপ
|-
| ভাজা পেঁয়াজ || ১ কাপ
|-
| আদা-রসুন বাটা || ৩ টেবিল চামচ
|-
| লবণ || স্বাদমতো
|-
| হলুদ গুঁড়ো || ১ চা চামচ
|-
| মরিচ গুঁড়ো || ১ চা চামচ
|-
| ধনে গুঁড়ো || ১ চা চামচ
|-
| জিরা গুঁড়ো || ১ চা চামচ
|-
| গরম মসলা গুঁড়ো || ১ চা চামচ
|-
| দারুচিনি, এলাচ, লবঙ্গ || প্রতিটি ৩টি করে
|-
| কেওড়া জল || ২ টেবিল চামচ
|-
| গোলাপ জল || ১ টেবিল চামচ
|-
| দুধে ভেজানো জাফরান || ২ টেবিল চামচ
|-
| ঘি || ৪ টেবিল চামচ
|-
| সাদা তেল || প্রয়োজনমতো
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# প্রথমে মুরগির টুকরাগুলো টকদই, আদা-রসুন বাটা, মরিচ গুঁড়ো, হলুদ, ধনে ও জিরা গুঁড়ো, গরম মসলা ও অল্প লবণ দিয়ে ভালোভাবে মাখিয়ে ঢেকে ১ ঘণ্টা রেখে দিন।
# চাল ধুয়ে ৩০ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন। এরপর দারুচিনি, এলাচ, লবঙ্গ ও লবণ মিশিয়ে অর্ধেক সেদ্ধ করে পানি ঝরিয়ে নিন।
# একটি পাত্রে কিছু ঘি ও তেল গরম করে ভাজা পেঁয়াজের অর্ধেক অংশ, মেরিনেশনে রাখা মুরগি ও সামান্য পানি দিয়ে ঢেকে সেদ্ধ করে নিন যতক্ষণ না মাংস নরম হয় এবং মশলা শুকিয়ে আসে।
# একটি মোটা তলার হাঁড়িতে সামান্য ঘি মাখিয়ে অর্ধেক চাল বিছিয়ে দিন। তার উপর মুরগির মিশ্রণ ছড়িয়ে দিন, তারপর আবার বাকি চাল বিছিয়ে দিন।
# উপরে জাফরান দুধ, কেওড়া জল, গোলাপ জল, ঘি ও বাকি ভাজা পেঁয়াজ ছড়িয়ে দিন।
# হাঁড়ির মুখ ভালোভাবে আটকে দিন (আটা লাগিয়ে বা ঢাকনার ভার দিয়ে)। এরপর অতি অল্প আঁচে ৩০–৪০ মিনিট “দমে” রাখুন।
# দম শেষে গরম গরম পরিবেশন করুন।
== পরিবেশন ==
চিকেন দম বিরিয়ানি পরিবেশন করা যায় বোরহানি, সালাদ, ডিম, কিংবা শাহী দই রাইতার সঙ্গে। একটি বড় আয়োজনে এই খাবারটি প্রধান পদ হিসেবে সর্বদাই অতিথিদের মুগ্ধ করে।
== পরামর্শ ==
* মাংস ভালোভাবে ম্যারিনেট করে রেখে দিলে এটি আরও মোলায়েম ও রসালো হয়।
* দমের সময়ে গ্যাস একেবারে নিচুতে রাখুন, না হলে নিচের স্তরে পুড়ে যেতে পারে।
* কেওড়া জল এবং গোলাপ জল খাবারে এক অপূর্ব ঘ্রাণ এনে দেয়, তবে কারও পছন্দ না হলে বাদও দিতে পারেন।
== বিবেচনা ==
* চাইলে এই বিরিয়ানি হাঁড়ি বসানোর সময় কাঠ কয়লার ধোঁয়া দিয়ে ধোঁয়া ঘ্রাণ (স্মোকি ফ্লেভার) যোগ করা যায়, এটি স্বাদে ভিন্ন মাত্রা এনে দেয়।
* বাচ্চাদের জন্য তৈরি করতে চাইলে ঝাল পরিমাণ কিছুটা কমিয়ে টকদই ও দুধের পরিমাণ বাড়ানো যেতে পারে।
* এই একই প্রণালীতে মাটন বা বিফ দম বিরিয়ানি করাও সম্ভব, কেবল রান্নার সময় ও মাংস সেদ্ধ করার পর্যায়টি একটু বাড়াতে হবে।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:বাংলাদেশি পদ]]
[[Category:বিরিয়ানি পদ]]
[[Category:মুরগির পদ]]
p6pm4qo2z3bh3ll6btc8d697kr3ckor
84706
84705
2025-06-17T23:54:00Z
Mehedi Abedin
7113
84706
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = প্রধান পদ
| পরিবেশন = ৬–৭ জন
| তৈরির সময় = ২ ঘণ্টা
| কষ্টসাধ্য = ৪
| খাদ্য শক্তি = উচ্চ
| টীকা = চিকেন দম বিরিয়ানি একটি পুরনো ও সুগন্ধিযুক্ত ভাত-মাংসের পদ, যেখানে মশলায় মাখানো মুরগি এবং সুগন্ধি বাসমতি চাল স্তরে স্তরে সাজিয়ে দমে রান্না করা হয়।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''চিকেন দম বিরিয়ানি'''</big></center>
চিকেন দম বিরিয়ানি এমন এক রাজকীয় খাবার যা উৎসব, অতিথি আপ্যায়ন, কিংবা বিশেষ দিনের মধ্যাহ্নভোজ বা রাতের খাবারে সম্মানের সঙ্গে পরিবেশিত হয়। সুগন্ধি চাল, টকদইয়ের সঙ্গে মসলা মিশিয়ে রাখা মুরগি, কেওড়া জল, জাফরান, এবং ভাজা পেঁয়াজের সুষম ব্যবহারে এই খাবারটি স্বাদ ও ঘ্রাণে অনন্য। এর “দম” দেওয়ার প্রক্রিয়া একটি ঐতিহ্যবাহী রন্ধন কৌশল, যেখানে সমস্ত উপাদানকে ঢেকে কম আঁচে রান্না করা হয়, যাতে প্রতিটি উপাদান স্বাদে একাত্ম হয়।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! নাম !! পরিমাণ
|-
| মুরগির মাংস || ১ কেজি (মাঝারি টুকরো করা)
|-
| বাসমতি চাল || ১ কেজি
|-
| টকদই || ১ কাপ
|-
| ভাজা পেঁয়াজ || ১ কাপ
|-
| আদা-রসুন বাটা || ৩ টেবিল চামচ
|-
| লবণ || স্বাদমতো
|-
| হলুদ গুঁড়ো || ১ চা চামচ
|-
| মরিচ গুঁড়ো || ১ চা চামচ
|-
| ধনে গুঁড়ো || ১ চা চামচ
|-
| জিরা গুঁড়ো || ১ চা চামচ
|-
| গরম মসলা গুঁড়ো || ১ চা চামচ
|-
| দারুচিনি, এলাচ, লবঙ্গ || প্রতিটি ৩টি করে
|-
| কেওড়া জল || ২ টেবিল চামচ
|-
| গোলাপ জল || ১ টেবিল চামচ
|-
| দুধে ভেজানো জাফরান || ২ টেবিল চামচ
|-
| ঘি || ৪ টেবিল চামচ
|-
| সাদা তেল || প্রয়োজনমতো
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# প্রথমে মুরগির টুকরাগুলো টকদই, আদা-রসুন বাটা, মরিচ গুঁড়ো, হলুদ, ধনে ও জিরা গুঁড়ো, গরম মসলা ও অল্প লবণ দিয়ে ভালোভাবে মাখিয়ে ঢেকে ১ ঘণ্টা রেখে দিন।
# চাল ধুয়ে ৩০ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন। এরপর দারুচিনি, এলাচ, লবঙ্গ ও লবণ মিশিয়ে অর্ধেক সেদ্ধ করে পানি ঝরিয়ে নিন।
# একটি পাত্রে কিছু ঘি ও তেল গরম করে ভাজা পেঁয়াজের অর্ধেক অংশ, মেরিনেশনে রাখা মুরগি ও সামান্য পানি দিয়ে ঢেকে সেদ্ধ করে নিন যতক্ষণ না মাংস নরম হয় এবং মশলা শুকিয়ে আসে।
# একটি মোটা তলার হাঁড়িতে সামান্য ঘি মাখিয়ে অর্ধেক চাল বিছিয়ে দিন। তার উপর মুরগির মিশ্রণ ছড়িয়ে দিন, তারপর আবার বাকি চাল বিছিয়ে দিন।
# উপরে জাফরান দুধ, কেওড়া জল, গোলাপ জল, ঘি ও বাকি ভাজা পেঁয়াজ ছড়িয়ে দিন।
# হাঁড়ির মুখ ভালোভাবে আটকে দিন (আটা লাগিয়ে বা ঢাকনার ভার দিয়ে)। এরপর অতি অল্প আঁচে ৩০–৪০ মিনিট “দমে” রাখুন।
# দম শেষে গরম গরম পরিবেশন করুন।
== পরিবেশন ==
চিকেন দম বিরিয়ানি পরিবেশন করা যায় বোরহানি, সালাদ, ডিম, কিংবা শাহী দই রাইতার সঙ্গে। একটি বড় আয়োজনে এই খাবারটি প্রধান পদ হিসেবে সর্বদাই অতিথিদের মুগ্ধ করে।
== পরামর্শ ==
* মাংস ভালোভাবে ম্যারিনেট করে রেখে দিলে এটি আরও মোলায়েম ও রসালো হয়।
* দমের সময়ে গ্যাস একেবারে নিচুতে রাখুন, না হলে নিচের স্তরে পুড়ে যেতে পারে।
* কেওড়া জল এবং গোলাপ জল খাবারে এক অপূর্ব ঘ্রাণ এনে দেয়, তবে কারও পছন্দ না হলে বাদও দিতে পারেন।
* চাইলে এই বিরিয়ানি হাঁড়ি বসানোর সময় কাঠ কয়লার ধোঁয়া দিয়ে ধোঁয়া ঘ্রাণ (স্মোকি ফ্লেভার) যোগ করা যায়, এটি স্বাদে ভিন্ন মাত্রা এনে দেয়।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:বাংলাদেশি পদ]]
[[Category:বিরিয়ানি পদ]]
[[Category:মুরগির পদ]]
day6ob4eycv2ezmld3l13dbv361c9ze
84707
84706
2025-06-17T23:54:26Z
Mehedi Abedin
7113
84707
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = প্রধান পদ
| পরিবেশন = ৬–৭ জন
| তৈরির সময় = ২ ঘণ্টা
| কষ্টসাধ্য = ৪
| খাদ্য শক্তি = উচ্চ
| টীকা = চিকেন দম বিরিয়ানি একটি পুরনো ও সুগন্ধিযুক্ত ভাত-মাংসের পদ, যেখানে মশলায় মাখানো মুরগি এবং সুগন্ধি বাসমতি চাল স্তরে স্তরে সাজিয়ে দমে রান্না করা হয়।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''চিকেন দম বিরিয়ানি'''</big></center>
চিকেন দম বিরিয়ানি এমন এক রাজকীয় খাবার যা উৎসব, অতিথি আপ্যায়ন, কিংবা বিশেষ দিনের মধ্যাহ্নভোজ বা রাতের খাবারে সম্মানের সঙ্গে পরিবেশিত হয়। সুগন্ধি চাল, টকদইয়ের সঙ্গে মসলা মিশিয়ে রাখা মুরগি, কেওড়া জল, জাফরান, এবং ভাজা পেঁয়াজের সুষম ব্যবহারে এই খাবারটি স্বাদ ও ঘ্রাণে অনন্য। এর “দম” দেওয়ার প্রক্রিয়া একটি ঐতিহ্যবাহী রন্ধন কৌশল, যেখানে সমস্ত উপাদানকে ঢেকে কম আঁচে রান্না করা হয়, যাতে প্রতিটি উপাদান স্বাদে একাত্ম হয়।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! নাম !! পরিমাণ
|-
| মুরগির মাংস || ১ কেজি (মাঝারি টুকরো করা)
|-
| বাসমতি চাল || ১ কেজি
|-
| টকদই || ১ কাপ
|-
| ভাজা পেঁয়াজ || ১ কাপ
|-
| আদা-রসুন বাটা || ৩ টেবিল চামচ
|-
| লবণ || স্বাদমতো
|-
| হলুদ গুঁড়ো || ১ চা চামচ
|-
| মরিচ গুঁড়ো || ১ চা চামচ
|-
| ধনে গুঁড়ো || ১ চা চামচ
|-
| জিরা গুঁড়ো || ১ চা চামচ
|-
| গরম মসলা গুঁড়ো || ১ চা চামচ
|-
| দারুচিনি, এলাচ, লবঙ্গ || প্রতিটি ৩টি করে
|-
| কেওড়া জল || ২ টেবিল চামচ
|-
| গোলাপ জল || ১ টেবিল চামচ
|-
| দুধে ভেজানো জাফরান || ২ টেবিল চামচ
|-
| ঘি || ৪ টেবিল চামচ
|-
| সাদা তেল || প্রয়োজনমতো
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# প্রথমে মুরগির টুকরাগুলো টকদই, আদা-রসুন বাটা, মরিচ গুঁড়ো, হলুদ, ধনে ও জিরা গুঁড়ো, গরম মসলা ও অল্প লবণ দিয়ে ভালোভাবে মাখিয়ে ঢেকে ১ ঘণ্টা রেখে দিন।
# চাল ধুয়ে ৩০ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন। এরপর দারুচিনি, এলাচ, লবঙ্গ ও লবণ মিশিয়ে অর্ধেক সেদ্ধ করে পানি ঝরিয়ে নিন।
# একটি পাত্রে কিছু ঘি ও তেল গরম করে ভাজা পেঁয়াজের অর্ধেক অংশ, মেরিনেশনে রাখা মুরগি ও সামান্য পানি দিয়ে ঢেকে সেদ্ধ করে নিন যতক্ষণ না মাংস নরম হয় এবং মশলা শুকিয়ে আসে।
# একটি মোটা তলার হাঁড়িতে সামান্য ঘি মাখিয়ে অর্ধেক চাল বিছিয়ে দিন। তার উপর মুরগির মিশ্রণ ছড়িয়ে দিন, তারপর আবার বাকি চাল বিছিয়ে দিন।
# উপরে জাফরান দুধ, কেওড়া জল, গোলাপ জল, ঘি ও বাকি ভাজা পেঁয়াজ ছড়িয়ে দিন।
# হাঁড়ির মুখ ভালোভাবে আটকে দিন (আটা লাগিয়ে বা ঢাকনার ভার দিয়ে)। এরপর অতি অল্প আঁচে ৩০–৪০ মিনিট “দমে” রাখুন।
# দম শেষে গরম গরম পরিবেশন করুন।
<span style=color:red;><center>'''পরিবেশন করুন বোরহানি, সালাদ, ডিম, কিংবা শাহী দই রাইতার সঙ্গে।'''</center></span>
== পরামর্শ ==
* মাংস ভালোভাবে ম্যারিনেট করে রেখে দিলে এটি আরও মোলায়েম ও রসালো হয়।
* দমের সময়ে গ্যাস একেবারে নিচুতে রাখুন, না হলে নিচের স্তরে পুড়ে যেতে পারে।
* কেওড়া জল এবং গোলাপ জল খাবারে এক অপূর্ব ঘ্রাণ এনে দেয়, তবে কারও পছন্দ না হলে বাদও দিতে পারেন।
* চাইলে এই বিরিয়ানি হাঁড়ি বসানোর সময় কাঠ কয়লার ধোঁয়া দিয়ে ধোঁয়া ঘ্রাণ (স্মোকি ফ্লেভার) যোগ করা যায়, এটি স্বাদে ভিন্ন মাত্রা এনে দেয়।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:বাংলাদেশি পদ]]
[[Category:বিরিয়ানি পদ]]
[[Category:মুরগির পদ]]
t1ie6qf6btlq9ammgf2uvdbwdy3mjz3
84708
84707
2025-06-17T23:54:36Z
Mehedi Abedin
7113
84708
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = প্রধান পদ
| পরিবেশন = ৬–৭ জন
| তৈরির সময় = ২ ঘণ্টা
| কষ্টসাধ্য = ৪
| খাদ্য শক্তি = উচ্চ
| টীকা = চিকেন দম বিরিয়ানি একটি পুরনো ও সুগন্ধিযুক্ত ভাত-মাংসের পদ, যেখানে মশলায় মাখানো মুরগি এবং সুগন্ধি বাসমতি চাল স্তরে স্তরে সাজিয়ে দমে রান্না করা হয়।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''চিকেন দম বিরিয়ানি'''</big></center>
চিকেন দম বিরিয়ানি এমন এক রাজকীয় খাবার যা উৎসব, অতিথি আপ্যায়ন, কিংবা বিশেষ দিনের মধ্যাহ্নভোজ বা রাতের খাবারে সম্মানের সঙ্গে পরিবেশিত হয়। সুগন্ধি চাল, টকদইয়ের সঙ্গে মসলা মিশিয়ে রাখা মুরগি, কেওড়া জল, জাফরান, এবং ভাজা পেঁয়াজের সুষম ব্যবহারে এই খাবারটি স্বাদ ও ঘ্রাণে অনন্য। এর “দম” দেওয়ার প্রক্রিয়া একটি ঐতিহ্যবাহী রন্ধন কৌশল, যেখানে সমস্ত উপাদানকে ঢেকে কম আঁচে রান্না করা হয়, যাতে প্রতিটি উপাদান স্বাদে একাত্ম হয়।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! নাম !! পরিমাণ
|-
| মুরগির মাংস || ১ কেজি (মাঝারি টুকরো করা)
|-
| বাসমতি চাল || ১ কেজি
|-
| টকদই || ১ কাপ
|-
| ভাজা পেঁয়াজ || ১ কাপ
|-
| আদা-রসুন বাটা || ৩ টেবিল চামচ
|-
| লবণ || স্বাদমতো
|-
| হলুদ গুঁড়ো || ১ চা চামচ
|-
| মরিচ গুঁড়ো || ১ চা চামচ
|-
| ধনে গুঁড়ো || ১ চা চামচ
|-
| জিরা গুঁড়ো || ১ চা চামচ
|-
| গরম মসলা গুঁড়ো || ১ চা চামচ
|-
| দারুচিনি, এলাচ, লবঙ্গ || প্রতিটি ৩টি করে
|-
| কেওড়া জল || ২ টেবিল চামচ
|-
| গোলাপ জল || ১ টেবিল চামচ
|-
| দুধে ভেজানো জাফরান || ২ টেবিল চামচ
|-
| ঘি || ৪ টেবিল চামচ
|-
| সাদা তেল || প্রয়োজনমতো
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# প্রথমে মুরগির টুকরাগুলো টকদই, আদা-রসুন বাটা, মরিচ গুঁড়ো, হলুদ, ধনে ও জিরা গুঁড়ো, গরম মসলা ও অল্প লবণ দিয়ে ভালোভাবে মাখিয়ে ঢেকে ১ ঘণ্টা রেখে দিন।
# চাল ধুয়ে ৩০ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন। এরপর দারুচিনি, এলাচ, লবঙ্গ ও লবণ মিশিয়ে অর্ধেক সেদ্ধ করে পানি ঝরিয়ে নিন।
# একটি পাত্রে কিছু ঘি ও তেল গরম করে ভাজা পেঁয়াজের অর্ধেক অংশ, মেরিনেশনে রাখা মুরগি ও সামান্য পানি দিয়ে ঢেকে সেদ্ধ করে নিন যতক্ষণ না মাংস নরম হয় এবং মশলা শুকিয়ে আসে।
# একটি মোটা তলার হাঁড়িতে সামান্য ঘি মাখিয়ে অর্ধেক চাল বিছিয়ে দিন। তার উপর মুরগির মিশ্রণ ছড়িয়ে দিন, তারপর আবার বাকি চাল বিছিয়ে দিন।
# উপরে জাফরান দুধ, কেওড়া জল, গোলাপ জল, ঘি ও বাকি ভাজা পেঁয়াজ ছড়িয়ে দিন।
# হাঁড়ির মুখ ভালোভাবে আটকে দিন (আটা লাগিয়ে বা ঢাকনার ভার দিয়ে)। এরপর অতি অল্প আঁচে ৩০–৪০ মিনিট “দমে” রাখুন।
<span style=color:red;><center>'''পরিবেশন করুন বোরহানি, সালাদ, ডিম, কিংবা শাহী দই রাইতার সঙ্গে।'''</center></span>
== পরামর্শ ==
* মাংস ভালোভাবে ম্যারিনেট করে রেখে দিলে এটি আরও মোলায়েম ও রসালো হয়।
* দমের সময়ে গ্যাস একেবারে নিচুতে রাখুন, না হলে নিচের স্তরে পুড়ে যেতে পারে।
* কেওড়া জল এবং গোলাপ জল খাবারে এক অপূর্ব ঘ্রাণ এনে দেয়, তবে কারও পছন্দ না হলে বাদও দিতে পারেন।
* চাইলে এই বিরিয়ানি হাঁড়ি বসানোর সময় কাঠ কয়লার ধোঁয়া দিয়ে ধোঁয়া ঘ্রাণ (স্মোকি ফ্লেভার) যোগ করা যায়, এটি স্বাদে ভিন্ন মাত্রা এনে দেয়।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:বাংলাদেশি পদ]]
[[Category:বিরিয়ানি পদ]]
[[Category:মুরগির পদ]]
f0bx0r9itgj0j2hgvkgtr3q3eetl499
84709
84708
2025-06-17T23:55:40Z
Mehedi Abedin
7113
84709
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = প্রধান পদ
| পরিবেশন = ৬–৭ জন
| তৈরির সময় = ২ ঘণ্টা
| কষ্টসাধ্য = ৪
| খাদ্য শক্তি = উচ্চ
| টীকা = প্রাচীন ও সুগন্ধিযুক্ত ভাত-মাংসের পদ, যেখানে মশলায় মাখানো মুরগি এবং সুগন্ধি বাসমতি চাল স্তরে স্তরে সাজিয়ে দমে রান্না করা হয়।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''চিকেন দম বিরিয়ানি'''</big></center>
চিকেন দম বিরিয়ানি এমন এক রাজকীয় খাবার যা উৎসব, অতিথি আপ্যায়ন, কিংবা বিশেষ দিনের মধ্যাহ্নভোজ বা রাতের খাবারে পরিবেশিত হয়। সুগন্ধি চাল, টকদইয়ের সঙ্গে মসলা মিশিয়ে রাখা মুরগি, কেওড়া জল, জাফরান, এবং ভাজা পেঁয়াজের সুষম ব্যবহারে এই খাবারটি স্বাদ ও ঘ্রাণে অনন্য। এর “দম” দেওয়ার প্রক্রিয়া একটি ঐতিহ্যবাহী রন্ধন কৌশল, যেখানে সমস্ত উপাদানকে ঢেকে কম আঁচে রান্না করা হয়, যাতে প্রতিটি উপাদান স্বাদে এক হয়ে যায়।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! নাম !! পরিমাণ
|-
| মুরগির মাংস || ১ কেজি (মাঝারি টুকরো করা)
|-
| বাসমতি চাল || ১ কেজি
|-
| টকদই || ১ কাপ
|-
| ভাজা পেঁয়াজ || ১ কাপ
|-
| আদা-রসুন বাটা || ৩ টেবিল চামচ
|-
| লবণ || স্বাদমতো
|-
| হলুদ গুঁড়ো || ১ চা চামচ
|-
| মরিচ গুঁড়ো || ১ চা চামচ
|-
| ধনে গুঁড়ো || ১ চা চামচ
|-
| জিরা গুঁড়ো || ১ চা চামচ
|-
| গরম মসলা গুঁড়ো || ১ চা চামচ
|-
| দারুচিনি, এলাচ, লবঙ্গ || প্রতিটি ৩টি করে
|-
| কেওড়া জল || ২ টেবিল চামচ
|-
| গোলাপ জল || ১ টেবিল চামচ
|-
| দুধে ভেজানো জাফরান || ২ টেবিল চামচ
|-
| ঘি || ৪ টেবিল চামচ
|-
| সাদা তেল || প্রয়োজনমতো
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# প্রথমে মুরগির টুকরাগুলো টকদই, আদা-রসুন বাটা, মরিচ গুঁড়ো, হলুদ, ধনে ও জিরা গুঁড়ো, গরম মসলা ও অল্প লবণ দিয়ে ভালোভাবে মাখিয়ে ঢেকে ১ ঘণ্টা রেখে দিন।
# চাল ধুয়ে ৩০ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন। এরপর দারুচিনি, এলাচ, লবঙ্গ ও লবণ মিশিয়ে অর্ধেক সেদ্ধ করে পানি ঝরিয়ে নিন।
# একটি পাত্রে কিছু ঘি ও তেল গরম করে ভাজা পেঁয়াজের অর্ধেক অংশ, মেরিনেশনে রাখা মুরগি ও সামান্য পানি দিয়ে ঢেকে সেদ্ধ করে নিন যতক্ষণ না মাংস নরম হয় এবং মশলা শুকিয়ে আসে।
# একটি মোটা তলার হাঁড়িতে সামান্য ঘি মাখিয়ে অর্ধেক চাল বিছিয়ে দিন। তার উপর মুরগির মিশ্রণ ছড়িয়ে দিন, তারপর আবার বাকি চাল বিছিয়ে দিন।
# উপরে জাফরান দুধ, কেওড়া জল, গোলাপ জল, ঘি ও বাকি ভাজা পেঁয়াজ ছড়িয়ে দিন।
# হাঁড়ির মুখ ভালোভাবে আটকে দিন (আটা লাগিয়ে বা ঢাকনার ভার দিয়ে)। এরপর অতি অল্প আঁচে ৩০–৪০ মিনিট “দমে” রাখুন।
<span style=color:red;><center>'''পরিবেশন করুন বোরহানি, সালাদ, ডিম, কিংবা শাহী দই রাইতার সঙ্গে।'''</center></span>
== পরামর্শ ==
* মাংস ভালোভাবে ম্যারিনেট করে রেখে দিলে এটি আরও মোলায়েম ও রসালো হয়।
* দমের সময়ে গ্যাস একেবারে নিচুতে রাখুন, না হলে নিচের স্তরে পুড়ে যেতে পারে।
* কেওড়া জল এবং গোলাপ জল খাবারে এক অপূর্ব ঘ্রাণ এনে দেয়, তবে কারও পছন্দ না হলে বাদও দিতে পারেন।
* চাইলে এই বিরিয়ানি হাঁড়ি বসানোর সময় কাঠ কয়লার ধোঁয়া দিয়ে ধোঁয়া ঘ্রাণ (স্মোকি ফ্লেভার) যোগ করা যায়, এটি স্বাদে ভিন্ন মাত্রা এনে দেয়।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:বাংলাদেশি পদ]]
[[Category:বিরিয়ানি পদ]]
[[Category:মুরগির পদ]]
rs1w97a857hqg24dyrhlscoony1ymco
84710
84709
2025-06-17T23:57:10Z
Mehedi Abedin
7113
84710
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = প্রধান পদ
| পরিবেশন = ৬–৭ জন
| তৈরির সময় = ২ ঘণ্টা
| কষ্টসাধ্য = ৪
| খাদ্য শক্তি = উচ্চ
| টীকা = প্রাচীন ও সুগন্ধিযুক্ত ভাত-মাংসের পদ, যেখানে মশলায় মাখানো মুরগি এবং সুগন্ধি বাসমতি চাল স্তরে স্তরে সাজিয়ে দমে রান্না করা হয়।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''চিকেন দম বিরিয়ানি'''</big></center>
চিকেন দম বিরিয়ানি এমন এক রাজকীয় খাবার যা উৎসব, অতিথি আপ্যায়ন, কিংবা বিশেষ দিনের মধ্যাহ্নভোজ বা রাতের খাবারে পরিবেশিত হয়। সুগন্ধি চাল, টকদইয়ের সঙ্গে মসলা মিশিয়ে রাখা মুরগি, কেওড়া জল, জাফরান, এবং ভাজা পেঁয়াজের সুষম ব্যবহারে এই খাবারটি স্বাদ ও ঘ্রাণে অনন্য। এর “দম” দেওয়ার প্রক্রিয়া একটি ঐতিহ্যবাহী রন্ধন কৌশল, যেখানে সমস্ত উপাদানকে ঢেকে কম আঁচে রান্না করা হয়, যাতে প্রতিটি উপাদান স্বাদে এক হয়ে যায়।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! নাম !! পরিমাণ
|-
| মুরগির মাংস || ১ কেজি (মাঝারি টুকরো করা)
|-
| বাসমতি চাল || ১ কেজি
|-
| টকদই || ১ কাপ
|-
| ভাজা পেঁয়াজ || ১ কাপ
|-
| আদা-রসুন বাটা || ৩ টেবিল চামচ
|-
| লবণ || স্বাদমতো
|-
| হলুদ গুঁড়ো || ১ চা চামচ
|-
| মরিচ গুঁড়ো || ১ চা চামচ
|-
| ধনে গুঁড়ো || ১ চা চামচ
|-
| জিরা গুঁড়ো || ১ চা চামচ
|-
| গরম মসলা গুঁড়ো || ১ চা চামচ
|-
| দারুচিনি, এলাচ, লবঙ্গ || প্রতিটি ৩টি করে
|-
| কেওড়া জল || ২ টেবিল চামচ
|-
| গোলাপ জল || ১ টেবিল চামচ
|-
| দুধে ভেজানো জাফরান || ২ টেবিল চামচ
|-
| ঘি || ৪ টেবিল চামচ
|-
| সাদা তেল || প্রয়োজনমতো
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# প্রথমে মুরগির টুকরাগুলো টকদই, আদা-রসুন বাটা, মরিচ গুঁড়ো, হলুদ, ধনে ও জিরা গুঁড়ো, গরম মসলা ও অল্প লবণ দিয়ে ভালোভাবে মাখিয়ে ঢেকে ১ ঘণ্টা রেখে দিন।
# চাল ধুয়ে ৩০ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন। এরপর দারুচিনি, এলাচ, লবঙ্গ ও লবণ মিশিয়ে অর্ধেক সেদ্ধ করে পানি ঝরিয়ে নিন।
# একটি পাত্রে কিছু ঘি ও তেল গরম করে ভাজা পেঁয়াজের অর্ধেক অংশ, মেরিনেশনে রাখা মুরগি ও সামান্য পানি দিয়ে ঢেকে সেদ্ধ করে নিন যতক্ষণ না মাংস নরম হয় এবং মশলা শুকিয়ে আসে।
# একটি মোটা তলার হাঁড়িতে সামান্য ঘি মাখিয়ে অর্ধেক চাল বিছিয়ে দিন। তার উপর মুরগির মিশ্রণ ছড়িয়ে দিন, তারপর আবার বাকি চাল বিছিয়ে দিন।
# উপরে জাফরান দুধ, কেওড়া জল, গোলাপ জল, ঘি ও বাকি ভাজা পেঁয়াজ ছড়িয়ে দিন।
# হাঁড়ির মুখ ভালোভাবে আটকে দিন (আটা লাগিয়ে বা ঢাকনার ভার দিয়ে)। এরপর অতি অল্প আঁচে ৩০–৪০ মিনিট “দমে” রাখুন।
<span style=color:red;><center>'''পরিবেশন করুন বোরহানি, সালাদ, ডিম, কিংবা শাহী দই রাইতার সঙ্গে।'''</center></span>
== পরামর্শ ==
* মাংস ভালোভাবে মেরিনেট করে রেখে দিলে এটি আরও মোলায়েম ও রসালো হয়।
* দমের সময়ে গ্যাস একেবারে নিচুতে রাখুন, না হলে নিচের স্তরে পুড়ে যেতে পারে।
* কেওড়া জল এবং গোলাপ জল খাবারে এক অপূর্ব ঘ্রাণ এনে দেয়, তবে কারও পছন্দ না হলে বাদও দিতে পারেন।
* চাইলে এই বিরিয়ানি হাঁড়ি বসানোর সময় কাঠ কয়লার ধোঁয়া দিয়ে ধোঁয়া ঘ্রাণ (স্মোকি ফ্লেভার) যোগ করা যায়, এটি স্বাদে ভিন্ন মাত্রা এনে দেয়।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:বাংলাদেশি পদ]]
[[Category:বিরিয়ানি পদ]]
[[Category:মুরগির পদ]]
qjdj7enb2nficvtlfv09hvta0ga248u
রন্ধনপ্রণালী:ছিটা রুটি
104
25649
84711
79992
2025-06-17T23:58:05Z
Mehedi Abedin
7113
84711
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = রুটি
| পরিবেশন = ৪–৫ জন
| তৈরির সময় = ১ ঘণ্টা
| কষ্টসাধ্য = ২
| খাদ্য শক্তি = হালকা-মাঝারি
| টীকা = ছিটা রুটি বাংলাদেশের গ্রামবাংলার এক ঐতিহ্যবাহী নরম ও পাতলা রুটি, যা মূলত নরম ভাত বা মাংস, ডাল বা ভর্তার সঙ্গে খাওয়া হয়।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''ছিটা রুটি'''</big></center>
ছিটা রুটি বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল ও বরিশালসহ বিভিন্ন অঞ্চলে বিশেষভাবে জনপ্রিয় একধরনের পাতলা চালের রুটি। নামটি এসেছে 'ছিটানো' থেকে, কারণ এই রুটি তৈরির সময় একটি পাতলা চালের মিশ্রণ তাওয়ায় ছিটিয়ে রান্না করা হয়। এটি দেখতে অনেকটা পাতলা জালের মতো, কিন্তু স্বাদে অতুলনীয়। এর একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো—রুটির গায়ে অসংখ্য ছিদ্র থাকে, যা তৈরি হয় ছিটানো পদ্ধতির কারণে, এবং এই ছিদ্রগুলি রুটির মধ্যে বায়ু প্রবাহ ও কোমলতা বজায় রাখে। ছিটা রুটি সাধারণত নরম হয় এবং সহজে চিবানো যায়, ফলে এটি শিশু, বয়স্ক কিংবা অসুস্থ ব্যক্তিদের জন্যও উপযোগী।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! নাম !! পরিমাণ
|-
| আতপ চাল || ২ কাপ
|-
| লবণ || স্বাদমতো
|-
| হালকা গরম পানি || প্রয়োজনমতো
|-
| সাদা তেল || ১ টেবিল চামচ (তাওয়া মাখাতে)
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# প্রথমে আতপ চাল ভালোভাবে ধুয়ে ৫–৬ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন। এরপর চাল ছেঁকে ব্লেন্ডারে অল্প অল্প পানি দিয়ে মিহি করে বেটে নিন যাতে মিশ্রণটি পাতলা ও মসৃণ হয়।
# চাল বাটার ঘনত্ব হবে এমন, যেন হাতে নিয়ে তাওয়ায় ছিটালে নিজে নিজেই গোল হয়ে ছড়িয়ে পড়ে। একে "ছিটা দেওয়ার মতো পাতলা" বলা হয়। এটি নিশ্চিত করতে চাইলে একবার চামচ দিয়ে তুলে দেখে নেওয়া যায় মিশ্রণ তাওয়ায় কতটা সহজে ছড়ায়।
# এরপর এই মিশ্রণে সামান্য লবণ মেশান এবং ঢেকে ১৫ মিনিট রেখে দিন যাতে বাটার একটু বসে যায়।
# একটি কড়চি বা ছোট বাটি ব্যবহার করে গরম তাওয়ার উপর হাতের কবজি ব্যবহার করে ছিটিয়ে রুটি দিন। ছিটানোর সময় হাতের তালু স্থির রেখে কবজি ঘুরিয়ে পুরো তাওয়াজুড়ে বাটার একটি পাতলা স্তর তৈরি করুন।
# আঁচ মাঝারি রেখে রুটির উপরিভাগ শুকিয়ে গেলে এবং নিচের দিক হালকা বাদামি রঙ ধারণ করলে রুটি উঠিয়ে নিন। এটি উল্টে দেওয়ার দরকার হয় না।
# প্রতিটি রুটির পর তাওয়াটি আবার তেল মাখিয়ে নিন এবং আগের মতো নতুন রুটি তৈরি করুন।
== পরিবেশন ==
ছিটা রুটি সাধারণত গরম গরম পরিবেশন করা হয় ডাল, আলু ভর্তা, বেগুন ভর্তা, ইলিশ ভাজি, মুরগির ঝোল বা মাটন কারির সঙ্গে। কোনো কোনো অঞ্চলে এই রুটি সরষে ইলিশ বা নারকেল দুধে রান্না করা তরকারির সঙ্গে খাওয়ার প্রচলন আছে, যা স্বাদের দিক থেকে অতুলনীয়।
== পরামর্শ ==
* আতপ চাল ব্যবহারে রুটি তুলনামূলকভাবে নরম ও ঝরঝরে হয়। তবে চাইলে অল্প পরিমাণ সিদ্ধ চাল মিশিয়ে বাটলে রুটি আরও বেশি নরম হয়।
* বাটার ঘনত্বই ছিটা রুটির সাফল্যের চাবিকাঠি। খুব পাতলা হলে রুটি ছিঁড়ে যেতে পারে, আবার ঘন হলে ছড়াতে কষ্ট হয়।
* রুটি উঠানোর জন্য পাতলা ধাতব খুন্তি ব্যবহার করুন যাতে রুটি সহজে উঠে আসে।
== স্বাস্থ্য উপকারিতা ও ঝুঁকি ==
ছিটা রুটি মূলত ভাতের বিকল্প হিসেবে ব্যবহৃত হয়, এবং এটি সহজপাচ্য হওয়ায় যারা ভাত কম খান কিংবা হজমে সমস্যা অনুভব করেন, তাদের জন্য ভালো একটি সমাধান। এতে চর্বি ও তেল প্রায় থাকে না বললেই চলে, তাই এটি হৃদরোগ বা ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকা ব্যক্তিদের জন্য উপযোগী। যেহেতু এটি আতপ চাল দিয়ে তৈরি, তাই এটি উচ্চ গ্লাইসেমিক সূচকযুক্ত খাদ্য; ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য পরিমিত খাওয়াই শ্রেয়।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:বাংলাদেশি খাবার]]
[[Category:ঐতিহ্যবাহী খাবার]]
[[Category:গ্রামবাংলার খাবার]]
rlxaprxtv6z76th20r5n5d8gtaroih1
84712
84711
2025-06-17T23:58:20Z
Mehedi Abedin
7113
84712
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = রুটি
| পরিবেশন = ৪–৫ জন
| তৈরির সময় = ১ ঘণ্টা
| কষ্টসাধ্য = ২
| খাদ্য শক্তি = হালকা-মাঝারি
| টীকা = ছিটা রুটি বাংলাদেশের গ্রামবাংলার এক ঐতিহ্যবাহী নরম ও পাতলা রুটি, যা মূলত নরম ভাত বা মাংস, ডাল বা ভর্তার সঙ্গে খাওয়া হয়।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''ছিটা রুটি'''</big></center>
ছিটা রুটি বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল ও বরিশালসহ বিভিন্ন অঞ্চলে বিশেষভাবে জনপ্রিয় একধরনের পাতলা চালের রুটি। নামটি এসেছে 'ছিটানো' থেকে, কারণ এই রুটি তৈরির সময় একটি পাতলা চালের মিশ্রণ তাওয়ায় ছিটিয়ে রান্না করা হয়। এটি দেখতে অনেকটা পাতলা জালের মতো, কিন্তু স্বাদে অতুলনীয়। এর একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো—রুটির গায়ে অসংখ্য ছিদ্র থাকে, যা তৈরি হয় ছিটানো পদ্ধতির কারণে, এবং এই ছিদ্রগুলি রুটির মধ্যে বায়ু প্রবাহ ও কোমলতা বজায় রাখে। ছিটা রুটি সাধারণত নরম হয় এবং সহজে চিবানো যায়, ফলে এটি শিশু, বয়স্ক কিংবা অসুস্থ ব্যক্তিদের জন্যও উপযোগী।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! নাম !! পরিমাণ
|-
| আতপ চাল || ২ কাপ
|-
| লবণ || স্বাদমতো
|-
| হালকা গরম পানি || প্রয়োজনমতো
|-
| সাদা তেল || ১ টেবিল চামচ (তাওয়া মাখাতে)
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# প্রথমে আতপ চাল ভালোভাবে ধুয়ে ৫–৬ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন। এরপর চাল ছেঁকে ব্লেন্ডারে অল্প অল্প পানি দিয়ে মিহি করে বেটে নিন যাতে মিশ্রণটি পাতলা ও মসৃণ হয়।
# চাল বাটার ঘনত্ব হবে এমন, যেন হাতে নিয়ে তাওয়ায় ছিটালে নিজে নিজেই গোল হয়ে ছড়িয়ে পড়ে। একে "ছিটা দেওয়ার মতো পাতলা" বলা হয়। এটি নিশ্চিত করতে চাইলে একবার চামচ দিয়ে তুলে দেখে নেওয়া যায় মিশ্রণ তাওয়ায় কতটা সহজে ছড়ায়।
# এরপর এই মিশ্রণে সামান্য লবণ মেশান এবং ঢেকে ১৫ মিনিট রেখে দিন যাতে বাটার একটু বসে যায়।
# একটি কড়চি বা ছোট বাটি ব্যবহার করে গরম তাওয়ার উপর হাতের কবজি ব্যবহার করে ছিটিয়ে রুটি দিন। ছিটানোর সময় হাতের তালু স্থির রেখে কবজি ঘুরিয়ে পুরো তাওয়াজুড়ে বাটার একটি পাতলা স্তর তৈরি করুন।
# আঁচ মাঝারি রেখে রুটির উপরিভাগ শুকিয়ে গেলে এবং নিচের দিক হালকা বাদামি রঙ ধারণ করলে রুটি উঠিয়ে নিন। এটি উল্টে দেওয়ার দরকার হয় না।
# প্রতিটি রুটির পর তাওয়াটি আবার তেল মাখিয়ে নিন এবং আগের মতো নতুন রুটি তৈরি করুন।
== পরিবেশন ==
ছিটা রুটি সাধারণত গরম গরম পরিবেশন করা হয় ডাল, আলু ভর্তা, বেগুন ভর্তা, ইলিশ ভাজি, মুরগির ঝোল বা মাটন কারির সঙ্গে। কোনো কোনো অঞ্চলে এই রুটি সরষে ইলিশ বা নারকেল দুধে রান্না করা তরকারির সঙ্গে খাওয়ার প্রচলন আছে, যা স্বাদের দিক থেকে অতুলনীয়।
== পরামর্শ ==
* আতপ চাল ব্যবহারে রুটি তুলনামূলকভাবে নরম ও ঝরঝরে হয়। তবে চাইলে অল্প পরিমাণ সিদ্ধ চাল মিশিয়ে বাটলে রুটি আরও বেশি নরম হয়।
* বাটার ঘনত্বই ছিটা রুটির সাফল্যের চাবিকাঠি। খুব পাতলা হলে রুটি ছিঁড়ে যেতে পারে, আবার ঘন হলে ছড়াতে কষ্ট হয়।
* রুটি উঠানোর জন্য পাতলা ধাতব খুন্তি ব্যবহার করুন যাতে রুটি সহজে উঠে আসে।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:বাংলাদেশী খাবার]]
[[Category:ঐতিহ্যবাহী খাবার]]
[[Category:গ্রামবাংলার খাবার]]
3gk84fg515ue13wk99kz4zr09f1xhd6
84713
84712
2025-06-17T23:58:59Z
Mehedi Abedin
7113
84713
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = রুটি
| পরিবেশন = ৪–৫ জন
| তৈরির সময় = ১ ঘণ্টা
| কষ্টসাধ্য = ২
| খাদ্য শক্তি = হালকা-মাঝারি
| টীকা = ছিটা রুটি বাংলাদেশের গ্রামবাংলার এক ঐতিহ্যবাহী নরম ও পাতলা রুটি, যা মূলত নরম ভাত বা মাংস, ডাল বা ভর্তার সঙ্গে খাওয়া হয়।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''ছিটা রুটি'''</big></center>
ছিটা রুটি বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল ও বরিশালসহ বিভিন্ন অঞ্চলে বিশেষভাবে জনপ্রিয় একধরনের পাতলা চালের রুটি। নামটি এসেছে 'ছিটানো' থেকে, কারণ এই রুটি তৈরির সময় একটি পাতলা চালের মিশ্রণ তাওয়ায় ছিটিয়ে রান্না করা হয়। এটি দেখতে অনেকটা পাতলা জালের মতো, কিন্তু স্বাদে অতুলনীয়। এর একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো—রুটির গায়ে অসংখ্য ছিদ্র থাকে, যা তৈরি হয় ছিটানো পদ্ধতির কারণে, এবং এই ছিদ্রগুলি রুটির মধ্যে বায়ু প্রবাহ ও কোমলতা বজায় রাখে। ছিটা রুটি সাধারণত নরম হয় এবং সহজে চিবানো যায়, ফলে এটি শিশু, বয়স্ক কিংবা অসুস্থ ব্যক্তিদের জন্যও উপযোগী।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! নাম !! পরিমাণ
|-
| আতপ চাল || ২ কাপ
|-
| লবণ || স্বাদমতো
|-
| হালকা গরম পানি || প্রয়োজনমতো
|-
| সাদা তেল || ১ টেবিল চামচ (তাওয়া মাখাতে)
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# প্রথমে আতপ চাল ভালোভাবে ধুয়ে ৫–৬ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন। এরপর চাল ছেঁকে ব্লেন্ডারে অল্প অল্প পানি দিয়ে মিহি করে বেটে নিন যাতে মিশ্রণটি পাতলা ও মসৃণ হয়।
# চাল বাটার ঘনত্ব হবে এমন, যেন হাতে নিয়ে তাওয়ায় ছিটালে নিজে নিজেই গোল হয়ে ছড়িয়ে পড়ে। একে "ছিটা দেওয়ার মতো পাতলা" বলা হয়। এটি নিশ্চিত করতে চাইলে একবার চামচ দিয়ে তুলে দেখে নেওয়া যায় মিশ্রণ তাওয়ায় কতটা সহজে ছড়ায়।
# এরপর এই মিশ্রণে সামান্য লবণ মেশান এবং ঢেকে ১৫ মিনিট রেখে দিন যাতে বাটার একটু বসে যায়।
# একটি কড়চি বা ছোট বাটি ব্যবহার করে গরম তাওয়ার উপর হাতের কবজি ব্যবহার করে ছিটিয়ে রুটি দিন। ছিটানোর সময় হাতের তালু স্থির রেখে কবজি ঘুরিয়ে পুরো তাওয়াজুড়ে বাটার একটি পাতলা স্তর তৈরি করুন।
# আঁচ মাঝারি রেখে রুটির উপরিভাগ শুকিয়ে গেলে এবং নিচের দিক হালকা বাদামি রঙ ধারণ করলে রুটি উঠিয়ে নিন। এটি উল্টে দেওয়ার দরকার হয় না।
# প্রতিটি রুটির পর তাওয়াটি আবার তেল মাখিয়ে নিন এবং আগের মতো নতুন রুটি তৈরি করুন।
<span style=color:red;><center>'''গরম গরম পরিবেশন করুন ডাল, আলু ভর্তা, বেগুন ভর্তা, ইলিশ ভাজি, মুরগির ঝোল বা মাটন কারির সঙ্গে।'''</center></span>
== পরামর্শ ==
* আতপ চাল ব্যবহারে রুটি তুলনামূলকভাবে নরম ও ঝরঝরে হয়। তবে চাইলে অল্প পরিমাণ সিদ্ধ চাল মিশিয়ে বাটলে রুটি আরও বেশি নরম হয়।
* বাটার ঘনত্বই ছিটা রুটির সাফল্যের চাবিকাঠি। খুব পাতলা হলে রুটি ছিঁড়ে যেতে পারে, আবার ঘন হলে ছড়াতে কষ্ট হয়।
* রুটি উঠানোর জন্য পাতলা ধাতব খুন্তি ব্যবহার করুন যাতে রুটি সহজে উঠে আসে।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:বাংলাদেশী খাবার]]
[[Category:ঐতিহ্যবাহী খাবার]]
[[Category:গ্রামবাংলার খাবার]]
p7uzzf7kmnsmywcy25m1p0kthomdpny
84715
84713
2025-06-17T23:59:49Z
Mehedi Abedin
7113
84715
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = রুটি
| পরিবেশন = ৪–৫ জন
| তৈরির সময় = ১ ঘণ্টা
| কষ্টসাধ্য = ২
| খাদ্য শক্তি = হালকা-মাঝারি
| টীকা = গ্রামবাংলার এক ঐতিহ্যবাহী নরম ও পাতলা রুটি, যা মূলত নরম ভাত বা মাংস, ডাল বা ভর্তার সঙ্গে খাওয়া হয়।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''ছিটা রুটি'''</big></center>
ছিটা রুটি বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল ও বরিশালসহ বিভিন্ন অঞ্চলে বিশেষভাবে জনপ্রিয় একধরনের পাতলা চালের রুটি। নামটি এসেছে 'ছিটানো' থেকে, কারণ এই রুটি তৈরির সময় একটি পাতলা চালের মিশ্রণ তাওয়ায় ছিটিয়ে রান্না করা হয়। এটি দেখতে অনেকটা পাতলা জালের মতো, কিন্তু স্বাদে অতুলনীয়। এর একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো—রুটির গায়ে অসংখ্য ছিদ্র থাকে, যা তৈরি হয় ছিটানো পদ্ধতির কারণে, এবং এই ছিদ্রগুলি রুটির মধ্যে বায়ু প্রবাহ ও কোমলতা বজায় রাখে। ছিটা রুটি সাধারণত নরম হয় এবং সহজে চিবানো যায়, ফলে এটি শিশু, বয়স্ক কিংবা অসুস্থ ব্যক্তিদের জন্যও উপযোগী।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! নাম !! পরিমাণ
|-
| আতপ চাল || ২ কাপ
|-
| লবণ || স্বাদমতো
|-
| হালকা গরম পানি || প্রয়োজনমতো
|-
| সাদা তেল || ১ টেবিল চামচ (তাওয়া মাখাতে)
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# প্রথমে আতপ চাল ভালোভাবে ধুয়ে ৫–৬ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন। এরপর চাল ছেঁকে ব্লেন্ডারে অল্প অল্প পানি দিয়ে মিহি করে বেটে নিন যাতে মিশ্রণটি পাতলা ও মসৃণ হয়।
# চাল বাটার ঘনত্ব হবে এমন, যেন হাতে নিয়ে তাওয়ায় ছিটালে নিজে নিজেই গোল হয়ে ছড়িয়ে পড়ে। একে "ছিটা দেওয়ার মতো পাতলা" বলা হয়। এটি নিশ্চিত করতে চাইলে একবার চামচ দিয়ে তুলে দেখে নেওয়া যায় মিশ্রণ তাওয়ায় কতটা সহজে ছড়ায়।
# এরপর এই মিশ্রণে সামান্য লবণ মেশান এবং ঢেকে ১৫ মিনিট রেখে দিন যাতে বাটার একটু বসে যায়।
# একটি কড়চি বা ছোট বাটি ব্যবহার করে গরম তাওয়ার উপর হাতের কবজি ব্যবহার করে ছিটিয়ে রুটি দিন। ছিটানোর সময় হাতের তালু স্থির রেখে কবজি ঘুরিয়ে পুরো তাওয়াজুড়ে বাটার একটি পাতলা স্তর তৈরি করুন।
# আঁচ মাঝারি রেখে রুটির উপরিভাগ শুকিয়ে গেলে এবং নিচের দিক হালকা বাদামি রঙ ধারণ করলে রুটি উঠিয়ে নিন। এটি উল্টে দেওয়ার দরকার হয় না।
# প্রতিটি রুটির পর তাওয়াটি আবার তেল মাখিয়ে নিন এবং আগের মতো নতুন রুটি তৈরি করুন।
<span style=color:red;><center>'''গরম গরম পরিবেশন করুন ডাল, আলু ভর্তা, বেগুন ভর্তা, ইলিশ ভাজি, মুরগির ঝোল বা মাটন কারির সঙ্গে।'''</center></span>
== পরামর্শ ==
* আতপ চাল ব্যবহারে রুটি তুলনামূলকভাবে নরম ও ঝরঝরে হয়। তবে চাইলে অল্প পরিমাণ সিদ্ধ চাল মিশিয়ে বাটলে রুটি আরও বেশি নরম হয়।
* বাটার ঘনত্বই ছিটা রুটির সাফল্যের চাবিকাঠি। খুব পাতলা হলে রুটি ছিঁড়ে যেতে পারে, আবার ঘন হলে ছড়াতে কষ্ট হয়।
* রুটি উঠানোর জন্য পাতলা ধাতব খুন্তি ব্যবহার করুন যাতে রুটি সহজে উঠে আসে।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:বাংলাদেশী খাবার]]
[[Category:ঐতিহ্যবাহী খাবার]]
[[Category:গ্রামবাংলার খাবার]]
pw57ta0drmirg2tnpm409crpazy808a
রন্ধনপ্রণালী:পাঁপড়
104
25650
84716
79994
2025-06-18T00:01:56Z
Mehedi Abedin
7113
84716
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = জলখাবার
| পরিবেশন = ৮–১০ জন
| তৈরির সময় = ৪–৫ ঘণ্টা (সূর্যে শুকাতে সময় সহ)
| কষ্টসাধ্য = ৩
| খাদ্য শক্তি = হালকা
| টীকা = পাঁপড় দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম প্রাচীন ও জনপ্রিয় শুকনো খাদ্য, যা ভাজি বা সেঁকা অবস্থায় ভাত বা জলখাবারের সঙ্গে পরিবেশন করা হয়।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''পাঁপড়'''</big></center>
পাঁপড় একটি অতি পুরোনো ও ঐতিহ্যবাহী শুকনো খাদ্য, যা মূলত মসুর ডাল, চাল, মুগ ডাল, বা আলু দিয়ে তৈরি হয়। এটি সূর্যকিরণে শুকিয়ে রাখা হয় এবং সংরক্ষণ করে দীর্ঘ সময় ধরে ব্যবহার করা যায়। ভারত ও বাংলাদেশের ঘরে ঘরে এটি একসময় মহিলারা নিজেরাই তৈরি করতেন, বিশেষ করে গ্রীষ্মকালে। এটি শুধু একটি খাদ্য নয়, বরং গ্রামীণ নারীদের মিলিতভাবে সময় কাটানোর ও সৃজনশীলতা প্রকাশের একটি সামাজিক উপায়ও ছিল।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! নাম !! পরিমাণ
|-
| মসুর ডাল || ২ কাপ (রাতে ভিজিয়ে রাখুন)
|-
| বেকিং সোডা || ১/২ চা চামচ
|-
| কালো জিরা || ১ চা চামচ
|-
| শুকনো মরিচ গুঁড়ো || ১ চা চামচ (স্বাদমতো)
|-
| লবণ || স্বাদমতো
|-
| হালকা গরম পানি || পরিমাণমতো
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# প্রথমে মসুর ডাল ভালোভাবে ধুয়ে সারারাত ভিজিয়ে রাখুন। পরদিন ভিজে ডাল জল ঝরিয়ে ব্লেন্ডারে নিয়ে অল্প পানি দিয়ে ভালোভাবে বাটুন।
# বাটা ডালে বেকিং সোডা, লবণ, শুকনো মরিচ গুঁড়ো ও কালো জিরা মেশান। মিশ্রণটি ঘন ভর্তার মতো হবে, কিন্তু এমন যেন ছেঁকে নেওয়া যায় না।
# একটি পরিষ্কার পলিথিন বা কাপড় রোদে বিছিয়ে নিন। মিশ্রণটি চামচ দিয়ে ছোট ছোট গোল করে ছড়িয়ে দিন, একে অপরের থেকে সামান্য দূরে।
# রোদের তাপে ৩–৪ ঘণ্টা শুকিয়ে নিন। তারপর উল্টে দিন এবং আরও ১–২ ঘণ্টা শুকিয়ে সম্পূর্ণ শুষ্ক করে তুলুন।
# সম্পূর্ণ শুকিয়ে গেলে পাঁপড় সংগ্রহ করে বায়ুরোধী কৌটো বা ডিব্বায় সংরক্ষণ করুন। ভাজার সময় অল্প তেলে উচ্চ তাপে ভেজে তুলুন, অথবা আগুনে সেঁকেও খাওয়া যায়।
== পরিবেশন ==
পাঁপড় সাধারণত ভাতের সঙ্গে, ডালের সঙ্গে অথবা চাটের অংশ হিসেবে পরিবেশন করা হয়। এটি শুধু স্বাদে নয়, খাবারে একটি খাস্তা ও কড়কড়ে বৈচিত্র্য আনে। খিচুড়ির সঙ্গে পাঁপড় এক অপরিহার্য জুটি। অনেকে পাঁপড়ের মধ্যে পেঁয়াজ, টমেটো, কাঁচামরিচ দিয়ে চাট তৈরি করেও পরিবেশন করেন।
== পরামর্শ ==
* রোদে শুকানোর সময় মাঝে মাঝে নেড়ে উল্টে দিন যাতে সমানভাবে শুকায়।
* বৃষ্টির দিনে বা আর্দ্র আবহাওয়ায় পাঁপড় ভালোভাবে শুকাবে না, তাই গ্রীষ্মকাল বা শুষ্ক দিনে তৈরি করা উত্তম।
* চাইলে আপনি বাটার মধ্যে সরিষা বাটা, ধনে গুঁড়ো বা শুকনো আমচুর গুঁড়ো দিয়ে স্বাদে বৈচিত্র্য আনতে পারেন।
== স্বাস্থ্য উপকারিতা ও ঝুঁকি ==
পাঁপড়ে সাধারণত ফ্যাট বা চর্বি থাকে না, কারণ এটি শুকনো অবস্থায় থাকে। এতে প্রোটিনের কিছুটা উপাদান থাকে (যদি ডাল দিয়ে তৈরি হয়), যা হালকা খাবার হিসেবে উপযুক্ত। তবে ভাজার সময় তেল ব্যবহার হওয়ায় অতিরিক্ত খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে, বিশেষ করে হজমে সমস্যা বা উচ্চ রক্তচাপ থাকলে। তাই পরিমিতি বজায় রেখে উপভোগ করাই শ্রেয়।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:বাংলাদেশি খাবার]]
[[Category:ঐতিহ্যবাহী খাবার]]
qcynnh8r6z3jufszw179t5qlvd0p170
84717
84716
2025-06-18T00:02:06Z
Mehedi Abedin
7113
84717
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = জলখাবার
| পরিবেশন = ৮–১০ জন
| তৈরির সময় = ৪–৫ ঘণ্টা (সূর্যে শুকাতে সময় সহ)
| কষ্টসাধ্য = ৩
| খাদ্য শক্তি = হালকা
| টীকা = পাঁপড় দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম প্রাচীন ও জনপ্রিয় শুকনো খাদ্য, যা ভাজি বা সেঁকা অবস্থায় ভাত বা জলখাবারের সঙ্গে পরিবেশন করা হয়।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''পাঁপড়'''</big></center>
পাঁপড় একটি অতি পুরোনো ও ঐতিহ্যবাহী শুকনো খাদ্য, যা মূলত মসুর ডাল, চাল, মুগ ডাল, বা আলু দিয়ে তৈরি হয়। এটি সূর্যকিরণে শুকিয়ে রাখা হয় এবং সংরক্ষণ করে দীর্ঘ সময় ধরে ব্যবহার করা যায়। ভারত ও বাংলাদেশের ঘরে ঘরে এটি একসময় মহিলারা নিজেরাই তৈরি করতেন, বিশেষ করে গ্রীষ্মকালে। এটি শুধু একটি খাদ্য নয়, বরং গ্রামীণ নারীদের মিলিতভাবে সময় কাটানোর ও সৃজনশীলতা প্রকাশের একটি সামাজিক উপায়ও ছিল।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! নাম !! পরিমাণ
|-
| মসুর ডাল || ২ কাপ (রাতে ভিজিয়ে রাখুন)
|-
| বেকিং সোডা || ১/২ চা চামচ
|-
| কালো জিরা || ১ চা চামচ
|-
| শুকনো মরিচ গুঁড়ো || ১ চা চামচ (স্বাদমতো)
|-
| লবণ || স্বাদমতো
|-
| হালকা গরম পানি || পরিমাণমতো
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# প্রথমে মসুর ডাল ভালোভাবে ধুয়ে সারারাত ভিজিয়ে রাখুন। পরদিন ভিজে ডাল জল ঝরিয়ে ব্লেন্ডারে নিয়ে অল্প পানি দিয়ে ভালোভাবে বাটুন।
# বাটা ডালে বেকিং সোডা, লবণ, শুকনো মরিচ গুঁড়ো ও কালো জিরা মেশান। মিশ্রণটি ঘন ভর্তার মতো হবে, কিন্তু এমন যেন ছেঁকে নেওয়া যায় না।
# একটি পরিষ্কার পলিথিন বা কাপড় রোদে বিছিয়ে নিন। মিশ্রণটি চামচ দিয়ে ছোট ছোট গোল করে ছড়িয়ে দিন, একে অপরের থেকে সামান্য দূরে।
# রোদের তাপে ৩–৪ ঘণ্টা শুকিয়ে নিন। তারপর উল্টে দিন এবং আরও ১–২ ঘণ্টা শুকিয়ে সম্পূর্ণ শুষ্ক করে তুলুন।
# সম্পূর্ণ শুকিয়ে গেলে পাঁপড় সংগ্রহ করে বায়ুরোধী কৌটো বা ডিব্বায় সংরক্ষণ করুন। ভাজার সময় অল্প তেলে উচ্চ তাপে ভেজে তুলুন, অথবা আগুনে সেঁকেও খাওয়া যায়।
== পরিবেশন ==
পাঁপড় সাধারণত ভাতের সঙ্গে, ডালের সঙ্গে অথবা চাটের অংশ হিসেবে পরিবেশন করা হয়। এটি শুধু স্বাদে নয়, খাবারে একটি খাস্তা ও কড়কড়ে বৈচিত্র্য আনে। খিচুড়ির সঙ্গে পাঁপড় এক অপরিহার্য জুটি। অনেকে পাঁপড়ের মধ্যে পেঁয়াজ, টমেটো, কাঁচামরিচ দিয়ে চাট তৈরি করেও পরিবেশন করেন।
== পরামর্শ ==
* রোদে শুকানোর সময় মাঝে মাঝে নেড়ে উল্টে দিন যাতে সমানভাবে শুকায়।
* বৃষ্টির দিনে বা আর্দ্র আবহাওয়ায় পাঁপড় ভালোভাবে শুকাবে না, তাই গ্রীষ্মকাল বা শুষ্ক দিনে তৈরি করা উত্তম।
* চাইলে আপনি বাটার মধ্যে সরিষা বাটা, ধনে গুঁড়ো বা শুকনো আমচুর গুঁড়ো দিয়ে স্বাদে বৈচিত্র্য আনতে পারেন।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:বাংলাদেশি খাবার]]
[[Category:ঐতিহ্যবাহী খাবার]]
6n5dgpegover7auhm63g0naqw0nqzr8
84718
84717
2025-06-18T00:02:49Z
Mehedi Abedin
7113
84718
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = জলখাবার
| পরিবেশন = ৮–১০ জন
| তৈরির সময় = ৪–৫ ঘণ্টা (সূর্যে শুকাতে সময় সহ)
| কষ্টসাধ্য = ৩
| খাদ্য শক্তি = হালকা
| টীকা = দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম প্রাচীন ও জনপ্রিয় শুকনো খাদ্য, যা ভাজি বা সেঁকা অবস্থায় ভাত বা জলখাবারের সঙ্গে পরিবেশন করা হয়।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''পাঁপড়'''</big></center>
পাঁপড় একটি অতি পুরোনো ও ঐতিহ্যবাহী শুকনো খাদ্য, যা মূলত মসুর ডাল, চাল, মুগ ডাল, বা আলু দিয়ে তৈরি হয়। এটি সূর্যের আলোয় শুকিয়ে রাখা হয় এবং সংরক্ষণ করে দীর্ঘ সময় ধরে ব্যবহার করা যায়। ভারত ও বাংলাদেশের ঘরে ঘরে এটি একসময় মহিলারা নিজেরাই তৈরি করতেন, বিশেষ করে গ্রীষ্মকালে।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! নাম !! পরিমাণ
|-
| মসুর ডাল || ২ কাপ (রাতে ভিজিয়ে রাখুন)
|-
| বেকিং সোডা || ১/২ চা চামচ
|-
| কালো জিরা || ১ চা চামচ
|-
| শুকনো মরিচ গুঁড়ো || ১ চা চামচ (স্বাদমতো)
|-
| লবণ || স্বাদমতো
|-
| হালকা গরম পানি || পরিমাণমতো
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# প্রথমে মসুর ডাল ভালোভাবে ধুয়ে সারারাত ভিজিয়ে রাখুন। পরদিন ভিজে ডাল জল ঝরিয়ে ব্লেন্ডারে নিয়ে অল্প পানি দিয়ে ভালোভাবে বাটুন।
# বাটা ডালে বেকিং সোডা, লবণ, শুকনো মরিচ গুঁড়ো ও কালো জিরা মেশান। মিশ্রণটি ঘন ভর্তার মতো হবে, কিন্তু এমন যেন ছেঁকে নেওয়া যায় না।
# একটি পরিষ্কার পলিথিন বা কাপড় রোদে বিছিয়ে নিন। মিশ্রণটি চামচ দিয়ে ছোট ছোট গোল করে ছড়িয়ে দিন, একে অপরের থেকে সামান্য দূরে।
# রোদের তাপে ৩–৪ ঘণ্টা শুকিয়ে নিন। তারপর উল্টে দিন এবং আরও ১–২ ঘণ্টা শুকিয়ে সম্পূর্ণ শুষ্ক করে তুলুন।
# সম্পূর্ণ শুকিয়ে গেলে পাঁপড় সংগ্রহ করে বায়ুরোধী কৌটো বা ডিব্বায় সংরক্ষণ করুন। ভাজার সময় অল্প তেলে উচ্চ তাপে ভেজে তুলুন, অথবা আগুনে সেঁকেও খাওয়া যায়।
== পরিবেশন ==
পাঁপড় সাধারণত ভাতের সঙ্গে, ডালের সঙ্গে অথবা চাটের অংশ হিসেবে পরিবেশন করা হয়। এটি শুধু স্বাদে নয়, খাবারে একটি খাস্তা ও কড়কড়ে বৈচিত্র্য আনে। খিচুড়ির সঙ্গে পাঁপড় এক অপরিহার্য জুটি। অনেকে পাঁপড়ের মধ্যে পেঁয়াজ, টমেটো, কাঁচামরিচ দিয়ে চাট তৈরি করেও পরিবেশন করেন।
== পরামর্শ ==
* রোদে শুকানোর সময় মাঝে মাঝে নেড়ে উল্টে দিন যাতে সমানভাবে শুকায়।
* বৃষ্টির দিনে বা আর্দ্র আবহাওয়ায় পাঁপড় ভালোভাবে শুকাবে না, তাই গ্রীষ্মকাল বা শুষ্ক দিনে তৈরি করা উত্তম।
* চাইলে আপনি বাটার মধ্যে সরিষা বাটা, ধনে গুঁড়ো বা শুকনো আমচুর গুঁড়ো দিয়ে স্বাদে বৈচিত্র্য আনতে পারেন।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:বাংলাদেশি খাবার]]
[[Category:ঐতিহ্যবাহী খাবার]]
c3vp5ofg811jg0kw8gj8orvn1ujw007
84719
84718
2025-06-18T00:03:50Z
Mehedi Abedin
7113
84719
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = জলখাবার
| পরিবেশন = ৮–১০ জন
| তৈরির সময় = ৪–৫ ঘণ্টা (সূর্যে শুকাতে সময় সহ)
| কষ্টসাধ্য = ৩
| খাদ্য শক্তি = হালকা
| টীকা = দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম প্রাচীন ও জনপ্রিয় শুকনো খাদ্য, যা ভাজি বা সেঁকা অবস্থায় ভাত বা জলখাবারের সঙ্গে পরিবেশন করা হয়।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''পাঁপড়'''</big></center>
পাঁপড় একটি অতি পুরোনো ও ঐতিহ্যবাহী শুকনো খাদ্য, যা মূলত মসুর ডাল, চাল, মুগ ডাল, বা আলু দিয়ে তৈরি হয়। এটি সূর্যের আলোয় শুকিয়ে রাখা হয় এবং সংরক্ষণ করে দীর্ঘ সময় ধরে ব্যবহার করা যায়। ভারত ও বাংলাদেশের ঘরে ঘরে এটি একসময় মহিলারা নিজেরাই তৈরি করতেন, বিশেষ করে গ্রীষ্মকালে।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! নাম !! পরিমাণ
|-
| মসুর ডাল || ২ কাপ (রাতে ভিজিয়ে রাখুন)
|-
| বেকিং সোডা || ১/২ চা চামচ
|-
| কালো জিরা || ১ চা চামচ
|-
| শুকনো মরিচ গুঁড়ো || ১ চা চামচ (স্বাদমতো)
|-
| লবণ || স্বাদমতো
|-
| হালকা গরম পানি || পরিমাণমতো
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# প্রথমে মসুর ডাল ভালোভাবে ধুয়ে সারারাত ভিজিয়ে রাখুন। পরদিন ভিজে ডালের পানি ঝরিয়ে ব্লেন্ডারে নিয়ে অল্প পানি দিয়ে ভালোভাবে বাটুন।
# বাটা ডালে বেকিং সোডা, লবণ, শুকনো মরিচ গুঁড়ো ও কালো জিরা মেশান। মিশ্রণটি ঘন ভর্তার মতো হবে, কিন্তু এমন যেন ছেঁকে নেওয়া যায় না।
# একটি পরিষ্কার পলিথিন বা কাপড় রোদে বিছিয়ে নিন। মিশ্রণটি চামচ দিয়ে ছোট ছোট গোল করে ছড়িয়ে দিন, একে অপরের থেকে সামান্য দূরে।
# রোদের তাপে ৩–৪ ঘণ্টা শুকিয়ে নিন। তারপর উল্টে দিন এবং আরও ১–২ ঘণ্টা শুকিয়ে সম্পূর্ণ শুষ্ক করে তুলুন।
# সম্পূর্ণ শুকিয়ে গেলে পাঁপড় সংগ্রহ করে বায়ুরোধী কৌটো বা ডিব্বায় সংরক্ষণ করুন। ভাজার সময় অল্প তেলে উচ্চ তাপে ভেজে তুলুন, অথবা আগুনে সেঁকেও খাওয়া যায়।
== পরিবেশন ==
পাঁপড় সাধারণত ভাতের সঙ্গে, ডালের সঙ্গে অথবা চাটের অংশ হিসেবে পরিবেশন করা হয়। এটি শুধু স্বাদে নয়, খাবারে একটি খাস্তা ও কড়কড়ে বৈচিত্র্য আনে। খিচুড়ির সঙ্গে পাঁপড় এক অপরিহার্য জুটি। অনেকে পাঁপড়ের মধ্যে পেঁয়াজ, টমেটো, কাঁচামরিচ দিয়ে চাট তৈরি করেও পরিবেশন করেন।
== পরামর্শ ==
* রোদে শুকানোর সময় মাঝে মাঝে নেড়ে উল্টে দিন যাতে সমানভাবে শুকায়।
* বৃষ্টির দিনে বা আর্দ্র আবহাওয়ায় পাঁপড় ভালোভাবে শুকাবে না, তাই গ্রীষ্মকাল বা শুষ্ক দিনে তৈরি করা উত্তম।
* চাইলে আপনি বাটার মধ্যে সরিষা বাটা, ধনে গুঁড়ো বা শুকনো আমচুর গুঁড়ো দিয়ে স্বাদে বৈচিত্র্য আনতে পারেন।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:বাংলাদেশি খাবার]]
[[Category:ঐতিহ্যবাহী খাবার]]
ddf8tnod50tcc2d6mfo8mcba537emeg
84720
84719
2025-06-18T00:04:12Z
Mehedi Abedin
7113
84720
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = জলখাবার
| পরিবেশন = ৮–১০ জন
| তৈরির সময় = ৪–৫ ঘণ্টা (সূর্যে শুকাতে সময় সহ)
| কষ্টসাধ্য = ৩
| খাদ্য শক্তি = হালকা
| টীকা = দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম প্রাচীন ও জনপ্রিয় শুকনো খাদ্য, যা ভাজি বা সেঁকা অবস্থায় ভাত বা জলখাবারের সঙ্গে পরিবেশন করা হয়।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''পাঁপড়'''</big></center>
পাঁপড় একটি অতি পুরোনো ও ঐতিহ্যবাহী শুকনো খাদ্য, যা মূলত মসুর ডাল, চাল, মুগ ডাল, বা আলু দিয়ে তৈরি হয়। এটি সূর্যের আলোয় শুকিয়ে রাখা হয় এবং সংরক্ষণ করে দীর্ঘ সময় ধরে ব্যবহার করা যায়। ভারত ও বাংলাদেশের ঘরে ঘরে এটি একসময় মহিলারা নিজেরাই তৈরি করতেন, বিশেষ করে গ্রীষ্মকালে।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! নাম !! পরিমাণ
|-
| মসুর ডাল || ২ কাপ (রাতে ভিজিয়ে রাখুন)
|-
| বেকিং সোডা || ১/২ চা চামচ
|-
| কালো জিরা || ১ চা চামচ
|-
| শুকনো মরিচ গুঁড়ো || ১ চা চামচ (স্বাদমতো)
|-
| লবণ || স্বাদমতো
|-
| হালকা গরম পানি || পরিমাণমতো
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# প্রথমে মসুর ডাল ভালোভাবে ধুয়ে সারারাত ভিজিয়ে রাখুন। পরদিন ভিজে ডালের পানি ঝরিয়ে ব্লেন্ডারে নিয়ে অল্প পানি দিয়ে ভালোভাবে বাটুন।
# বাটা ডালে বেকিং সোডা, লবণ, শুকনো মরিচ গুঁড়ো ও কালো জিরা মেশান। মিশ্রণটি ঘন ভর্তার মতো হবে, কিন্তু এমন যেন ছেঁকে নেওয়া যায় না।
# একটি পরিষ্কার পলিথিন বা কাপড় রোদে বিছিয়ে নিন। মিশ্রণটি চামচ দিয়ে ছোট ছোট গোল করে ছড়িয়ে দিন, একে অপরের থেকে সামান্য দূরে।
# রোদের তাপে ৩–৪ ঘণ্টা শুকিয়ে নিন। তারপর উল্টে দিন এবং আরও ১–২ ঘণ্টা শুকিয়ে সম্পূর্ণ শুষ্ক করে তুলুন।
# সম্পূর্ণ শুকিয়ে গেলে পাঁপড় সংগ্রহ করে বায়ুরোধী কৌটো বা ডিব্বায় সংরক্ষণ করুন। ভাজার সময় অল্প তেলে উচ্চ তাপে ভেজে তুলুন, অথবা আগুনে সেঁকেও খাওয়া যায়।
<span style=color:red;><center>'''ভাতের সঙ্গে, ডালের সঙ্গে অথবা চাটের অংশ হিসেবে পরিবেশন করুন।'''</center></span>
== পরামর্শ ==
* রোদে শুকানোর সময় মাঝে মাঝে নেড়ে উল্টে দিন যাতে সমানভাবে শুকায়।
* বৃষ্টির দিনে বা আর্দ্র আবহাওয়ায় পাঁপড় ভালোভাবে শুকাবে না, তাই গ্রীষ্মকাল বা শুষ্ক দিনে তৈরি করা উত্তম।
* চাইলে আপনি বাটার মধ্যে সরিষা বাটা, ধনে গুঁড়ো বা শুকনো আমচুর গুঁড়ো দিয়ে স্বাদে বৈচিত্র্য আনতে পারেন।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:বাংলাদেশি খাবার]]
[[Category:ঐতিহ্যবাহী খাবার]]
e9163fs6iqbz5xkb5c9sd5he4vm2n2j
84721
84720
2025-06-18T00:04:37Z
Mehedi Abedin
7113
84721
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = জলখাবার
| পরিবেশন = ৮–১০ জন
| তৈরির সময় = ৪–৫ ঘণ্টা (সূর্যে শুকাতে সময় সহ)
| কষ্টসাধ্য = ৩
| খাদ্য শক্তি = হালকা
| টীকা = দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম প্রাচীন ও জনপ্রিয় শুকনো খাদ্য, যা ভাজি বা সেঁকা অবস্থায় ভাত বা জলখাবারের সঙ্গে পরিবেশন করা হয়।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''পাঁপড়'''</big></center>
পাঁপড় একটি অতি পুরোনো ও ঐতিহ্যবাহী শুকনো খাদ্য, যা মূলত মসুর ডাল, চাল, মুগ ডাল, বা আলু দিয়ে তৈরি হয়। এটি সূর্যের আলোয় শুকিয়ে রাখা হয় এবং সংরক্ষণ করে দীর্ঘ সময় ধরে ব্যবহার করা যায়। ভারত ও বাংলাদেশের ঘরে ঘরে এটি একসময় মহিলারা নিজেরাই তৈরি করতেন, বিশেষ করে গ্রীষ্মকালে।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! নাম !! পরিমাণ
|-
| মসুর ডাল || ২ কাপ (রাতে ভিজিয়ে রাখুন)
|-
| বেকিং সোডা || ১/২ চা চামচ
|-
| কালো জিরা || ১ চা চামচ
|-
| শুকনো মরিচ গুঁড়ো || ১ চা চামচ (স্বাদমতো)
|-
| লবণ || স্বাদমতো
|-
| হালকা গরম পানি || পরিমাণমতো
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# প্রথমে মসুর ডাল ভালোভাবে ধুয়ে সারারাত ভিজিয়ে রাখুন। পরদিন ভিজে ডালের পানি ঝরিয়ে ব্লেন্ডারে নিয়ে অল্প পানি দিয়ে ভালোভাবে বাটুন।
# বাটা ডালে বেকিং সোডা, লবণ, শুকনো মরিচ গুঁড়ো ও কালো জিরা মেশান। মিশ্রণটি ঘন ভর্তার মতো হবে, কিন্তু এমন যেন ছেঁকে নেওয়া যায় না।
# একটি পরিষ্কার পলিথিন বা কাপড় রোদে বিছিয়ে নিন। মিশ্রণটি চামচ দিয়ে ছোট ছোট গোল করে ছড়িয়ে দিন, একে অপরের থেকে সামান্য দূরে।
# রোদের তাপে ৩–৪ ঘণ্টা শুকিয়ে নিন। তারপর উল্টে দিন এবং আরও ১–২ ঘণ্টা শুকিয়ে সম্পূর্ণ শুষ্ক করে তুলুন।
# সম্পূর্ণ শুকিয়ে গেলে পাঁপড় সংগ্রহ করে বায়ুরোধী কৌটো বা ডিব্বায় সংরক্ষণ করুন। ভাজার সময় অল্প তেলে উচ্চ তাপে ভেজে তুলুন, অথবা আগুনে সেঁকেও খাওয়া যায়।
<span style=color:red;><center>'''ভাতের সঙ্গে, ডালের সঙ্গে অথবা চাটের অংশ হিসেবে পরিবেশন করুন।'''</center></span>
== পরামর্শ ==
* রোদে শুকানোর সময় মাঝে মাঝে নেড়ে উল্টে দিন যাতে সমানভাবে শুকায়।
* বৃষ্টির দিনে বা আর্দ্র আবহাওয়ায় পাঁপড় ভালোভাবে শুকাবে না, তাই গ্রীষ্মকাল বা শুষ্ক দিনে তৈরি করা উত্তম।
* চাইলে আপনি বাটার মধ্যে সরিষা বাটা, ধনে গুঁড়ো বা শুকনো আমচুর গুঁড়ো দিয়ে স্বাদে বৈচিত্র্য আনতে পারেন।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:বাংলাদেশী খাবার]]
[[Category:ঐতিহ্যবাহী খাবার]]
3wtqas63kb5ahqods1oj1zarvjhib7e
রন্ধনপ্রণালী:পনির পাকোড়া
104
25676
84722
80050
2025-06-18T00:07:41Z
Mehedi Abedin
7113
84722
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = জলখাবার
| পরিবেশন = ৪–৫ জন
| তৈরির সময় = ৩০ মিনিট
| কষ্টসাধ্য = ২
| খাদ্য শক্তি = মাঝারি
| টীকা = পনির পাকোড়া একটি সুস্বাদু, মচমচে ও পুষ্টিকর নাস্তা, যা বিকেলের চায়ের সঙ্গে বা অতিথি আপ্যায়নে পরিবেশন করা যায়।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''পনির পাকোড়া'''</big></center>
পনির পাকোড়া উত্তর ভারতীয় এক জনপ্রিয় জলখাবার, যা বর্তমানে বাংলাদেশেও অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। নরম পনির চৌকো মসলা মিশ্রিত বেসনের মিশ্রণে ডুবিয়ে ডুবো তেলে ভেজে তৈরি করা হয় এই সুস্বাদু পদ। বাইরে থেকে খাস্তা এবং ভিতর থেকে নরম ও কোমল এই খাবারটি ছোট-বড় সবারই পছন্দের তালিকায় থাকে। এটি যেমন চটজলদি বানানো যায়, তেমনি পুষ্টিগুণেও সমৃদ্ধ।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! নাম !! পরিমাণ
|-
| পনির (চৌকো করে কাটা) || ২০০ গ্রাম
|-
| বেসন || ১ কাপ
|-
| চাল গুঁড়া || ২ টেবিল চামচ (অতিরিক্ত মচমচে করার জন্য)
|-
| লবণ || স্বাদমতো
|-
| হলুদ গুঁড়ো || ১/২ চা চামচ
|-
| মরিচ গুঁড়ো || ১ চা চামচ
|-
| ধনে গুঁড়ো || ১/২ চা চামচ
|-
| জিরা গুঁড়ো || ১/২ চা চামচ
|-
| বেকিং সোডা || এক চিমটি
|-
| পানি || প্রয়োজন মতো (ঘন খামী তৈরির জন্য)
|-
| সরিষার তেল || প্রয়োজন মতো (ভাজার জন্য)
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# একটি বড় বাটিতে বেসন, চাল গুঁড়া, লবণ, হলুদ, মরিচ গুঁড়ো, ধনে গুঁড়ো, জিরা গুঁড়ো ও বেকিং সোডা মিশিয়ে নিন।
# অল্প অল্প করে পানি দিয়ে একটি ঘন ও মসৃণ খামী তৈরি করুন। খামী যেন খুব পাতলা না হয়।
# পনির চৌকগুলো খামীতে ডুবিয়ে নিন যাতে সবদিক সমানভাবে মাখানো হয়।
# কড়াইয়ে সরিষার তেল গরম করুন। মাঝারি আঁচে পনির চৌকগুলো আস্তে আস্তে দিয়ে দিন।
# একদিকে লালচে বাদামি হয়ে গেলে উল্টে দিন এবং সমানভাবে ভেজে তুলুন।
# শোষক কাগজে তুলে অতিরিক্ত তেল ঝরিয়ে পরিবেশন করুন।
== পরিবেশন ==
পনির পাকোড়া গরম গরম পরিবেশন করা শ্রেয়। এটি সাধারণত ধনেপাতা চাটনি, টক দই, বা টমেটো সসের সঙ্গে পরিবেশন করা হয়। বর্ষার দিনে চায়ের সঙ্গে পনির পাকোড়া এক অতুলনীয় স্বাদের জুটি। এটি অতিথি আপ্যায়নে বা ঘরোয়া জলখাবার হিসেবেও আদর্শ।
== পরামর্শ ==
* চাইলে পনির চৌকগুলোতে আগে হালকা লবণ ও গোলমরিচ ছিটিয়ে রাখতে পারেন, এতে স্বাদ আরও গভীর হয়।
* খামীতে কাঁচা মরিচ কুঁচি বা শুকনো পুদিনা গুঁড়ো মিশিয়ে ভিন্ন স্বাদ আনা যায়।
* বেকিং সোডা না থাকলে এক চা চামচ লেবুর রস বা একটু দইও ব্যাটারে মেশানো যায়, এতে পাকোড়া আরও নরম ও খাস্তা হয়।
== স্বাস্থ্য উপকারিতা ও ঝুঁকি ==
পনির একটি উচ্চ প্রোটিন ও ক্যালসিয়ামসমৃদ্ধ উপাদান, যা হাড় মজবুত রাখে এবং পেশি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এটি শিশুদের বৃদ্ধির জন্যও উপকারী। তবে যেহেতু এটি ডুবো তেলে ভাজা হয়, তাই অতিরিক্ত খাওয়া ওজন বৃদ্ধির কারণ হতে পারে এবং উচ্চ কোলেস্টেরল বা হজমের সমস্যায় ভোগা ব্যক্তিদের জন্য নিয়মিত খাওয়া উচিত নয়।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:বাংলাদেশি জলখাবার]]
[[Category:পনির পদ]]
4ora02a26ksfywstex44e8gle3s9lag
84723
84722
2025-06-18T00:07:50Z
Mehedi Abedin
7113
84723
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = জলখাবার
| পরিবেশন = ৪–৫ জন
| তৈরির সময় = ৩০ মিনিট
| কষ্টসাধ্য = ২
| খাদ্য শক্তি = মাঝারি
| টীকা = পনির পাকোড়া একটি সুস্বাদু, মচমচে ও পুষ্টিকর নাস্তা, যা বিকেলের চায়ের সঙ্গে বা অতিথি আপ্যায়নে পরিবেশন করা যায়।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''পনির পাকোড়া'''</big></center>
পনির পাকোড়া উত্তর ভারতীয় এক জনপ্রিয় জলখাবার, যা বর্তমানে বাংলাদেশেও অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। নরম পনির চৌকো মসলা মিশ্রিত বেসনের মিশ্রণে ডুবিয়ে ডুবো তেলে ভেজে তৈরি করা হয় এই সুস্বাদু পদ। বাইরে থেকে খাস্তা এবং ভিতর থেকে নরম ও কোমল এই খাবারটি ছোট-বড় সবারই পছন্দের তালিকায় থাকে। এটি যেমন চটজলদি বানানো যায়, তেমনি পুষ্টিগুণেও সমৃদ্ধ।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! নাম !! পরিমাণ
|-
| পনির (চৌকো করে কাটা) || ২০০ গ্রাম
|-
| বেসন || ১ কাপ
|-
| চাল গুঁড়া || ২ টেবিল চামচ (অতিরিক্ত মচমচে করার জন্য)
|-
| লবণ || স্বাদমতো
|-
| হলুদ গুঁড়ো || ১/২ চা চামচ
|-
| মরিচ গুঁড়ো || ১ চা চামচ
|-
| ধনে গুঁড়ো || ১/২ চা চামচ
|-
| জিরা গুঁড়ো || ১/২ চা চামচ
|-
| বেকিং সোডা || এক চিমটি
|-
| পানি || প্রয়োজন মতো (ঘন খামী তৈরির জন্য)
|-
| সরিষার তেল || প্রয়োজন মতো (ভাজার জন্য)
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# একটি বড় বাটিতে বেসন, চাল গুঁড়া, লবণ, হলুদ, মরিচ গুঁড়ো, ধনে গুঁড়ো, জিরা গুঁড়ো ও বেকিং সোডা মিশিয়ে নিন।
# অল্প অল্প করে পানি দিয়ে একটি ঘন ও মসৃণ খামী তৈরি করুন। খামী যেন খুব পাতলা না হয়।
# পনির চৌকগুলো খামীতে ডুবিয়ে নিন যাতে সবদিক সমানভাবে মাখানো হয়।
# কড়াইয়ে সরিষার তেল গরম করুন। মাঝারি আঁচে পনির চৌকগুলো আস্তে আস্তে দিয়ে দিন।
# একদিকে লালচে বাদামি হয়ে গেলে উল্টে দিন এবং সমানভাবে ভেজে তুলুন।
# শোষক কাগজে তুলে অতিরিক্ত তেল ঝরিয়ে পরিবেশন করুন।
== পরিবেশন ==
পনির পাকোড়া গরম গরম পরিবেশন করা শ্রেয়। এটি সাধারণত ধনেপাতা চাটনি, টক দই, বা টমেটো সসের সঙ্গে পরিবেশন করা হয়। বর্ষার দিনে চায়ের সঙ্গে পনির পাকোড়া এক অতুলনীয় স্বাদের জুটি। এটি অতিথি আপ্যায়নে বা ঘরোয়া জলখাবার হিসেবেও আদর্শ।
== পরামর্শ ==
* চাইলে পনির চৌকগুলোতে আগে হালকা লবণ ও গোলমরিচ ছিটিয়ে রাখতে পারেন, এতে স্বাদ আরও গভীর হয়।
* খামীতে কাঁচা মরিচ কুঁচি বা শুকনো পুদিনা গুঁড়ো মিশিয়ে ভিন্ন স্বাদ আনা যায়।
* বেকিং সোডা না থাকলে এক চা চামচ লেবুর রস বা একটু দইও ব্যাটারে মেশানো যায়, এতে পাকোড়া আরও নরম ও খাস্তা হয়।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:বাংলাদেশি জলখাবার]]
[[Category:পনির পদ]]
7fhezpfyjdaq7wy6h1vtt6rfyu1lsim
84724
84723
2025-06-18T00:08:20Z
Mehedi Abedin
7113
84724
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = জলখাবার
| পরিবেশন = ৪–৫ জন
| তৈরির সময় = ৩০ মিনিট
| কষ্টসাধ্য = ২
| খাদ্য শক্তি = মাঝারি
| টীকা = পনির পাকোড়া একটি সুস্বাদু, মচমচে ও পুষ্টিকর নাস্তা, যা বিকেলের চায়ের সঙ্গে বা অতিথি আপ্যায়নে পরিবেশন করা যায়।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''পনির পাকোড়া'''</big></center>
পনির পাকোড়া উত্তর ভারতীয় এক জনপ্রিয় জলখাবার, যা বর্তমানে বাংলাদেশেও অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। নরম পনির চৌকো মসলা মিশ্রিত বেসনের মিশ্রণে ডুবিয়ে ডুবো তেলে ভেজে তৈরি করা হয় এই সুস্বাদু পদ। বাইরে থেকে খাস্তা এবং ভিতর থেকে নরম ও কোমল এই খাবারটি ছোট-বড় সবারই পছন্দের তালিকায় থাকে। এটি যেমন চটজলদি বানানো যায়, তেমনি পুষ্টিগুণেও সমৃদ্ধ।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! নাম !! পরিমাণ
|-
| পনির (চৌকো করে কাটা) || ২০০ গ্রাম
|-
| বেসন || ১ কাপ
|-
| চাল গুঁড়া || ২ টেবিল চামচ (অতিরিক্ত মচমচে করার জন্য)
|-
| লবণ || স্বাদমতো
|-
| হলুদ গুঁড়ো || ১/২ চা চামচ
|-
| মরিচ গুঁড়ো || ১ চা চামচ
|-
| ধনে গুঁড়ো || ১/২ চা চামচ
|-
| জিরা গুঁড়ো || ১/২ চা চামচ
|-
| বেকিং সোডা || এক চিমটি
|-
| পানি || প্রয়োজন মতো (ঘন খামী তৈরির জন্য)
|-
| সরিষার তেল || প্রয়োজন মতো (ভাজার জন্য)
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# একটি বড় বাটিতে বেসন, চাল গুঁড়া, লবণ, হলুদ, মরিচ গুঁড়ো, ধনে গুঁড়ো, জিরা গুঁড়ো ও বেকিং সোডা মিশিয়ে নিন।
# অল্প অল্প করে পানি দিয়ে একটি ঘন ও মসৃণ খামী তৈরি করুন। খামী যেন খুব পাতলা না হয়।
# পনির চৌকগুলো খামীতে ডুবিয়ে নিন যাতে সবদিক সমানভাবে মাখানো হয়।
# কড়াইয়ে সরিষার তেল গরম করুন। মাঝারি আঁচে পনির চৌকগুলো আস্তে আস্তে দিয়ে দিন।
# একদিকে লালচে বাদামি হয়ে গেলে উল্টে দিন এবং সমানভাবে ভেজে তুলুন।
# শোষক কাগজে তুলে অতিরিক্ত তেল ঝরিয়ে পরিবেশন করুন।
<span style=color:red;><center>'''গরম গরম ধনেপাতা চাটনি, টক দই, বা টমেটো সসের সঙ্গে পরিবেশন করুন।'''</center></span>
== পরামর্শ ==
* চাইলে পনির চৌকগুলোতে আগে হালকা লবণ ও গোলমরিচ ছিটিয়ে রাখতে পারেন, এতে স্বাদ আরও গভীর হয়।
* খামীতে কাঁচা মরিচ কুঁচি বা শুকনো পুদিনা গুঁড়ো মিশিয়ে ভিন্ন স্বাদ আনা যায়।
* বেকিং সোডা না থাকলে এক চা চামচ লেবুর রস বা একটু দইও ব্যাটারে মেশানো যায়, এতে পাকোড়া আরও নরম ও খাস্তা হয়।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:বাংলাদেশি জলখাবার]]
[[Category:পনির পদ]]
3yw3ydnun53u2m9ebkrx0k822qstejf
84725
84724
2025-06-18T00:08:56Z
Mehedi Abedin
7113
84725
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = জলখাবার
| পরিবেশন = ৪–৫ জন
| তৈরির সময় = ৩০ মিনিট
| কষ্টসাধ্য = ২
| খাদ্য শক্তি = মাঝারি
| টীকা = সুস্বাদু, মচমচে ও পুষ্টিকর নাস্তা, যা বিকেলের চায়ের সঙ্গে বা অতিথি আপ্যায়নে পরিবেশন করা যায়।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''পনির পাকোড়া'''</big></center>
পনির পাকোড়া উত্তর ভারতীয় এক জনপ্রিয় জলখাবার, যা বর্তমানে বাংলাদেশেও অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। নরম পনির চৌকো মসলা মিশ্রিত বেসনের মিশ্রণে ডুবিয়ে ডুবো তেলে ভেজে তৈরি করা হয় এই সুস্বাদু পদ। বাইরে থেকে খাস্তা এবং ভিতর থেকে নরম ও কোমল এই খাবারটি ছোট-বড় সবারই পছন্দের তালিকায় থাকে। এটি যেমন চটজলদি বানানো যায়, তেমনি পুষ্টিগুণেও সমৃদ্ধ।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! নাম !! পরিমাণ
|-
| পনির (চৌকো করে কাটা) || ২০০ গ্রাম
|-
| বেসন || ১ কাপ
|-
| চাল গুঁড়া || ২ টেবিল চামচ (অতিরিক্ত মচমচে করার জন্য)
|-
| লবণ || স্বাদমতো
|-
| হলুদ গুঁড়ো || ১/২ চা চামচ
|-
| মরিচ গুঁড়ো || ১ চা চামচ
|-
| ধনে গুঁড়ো || ১/২ চা চামচ
|-
| জিরা গুঁড়ো || ১/২ চা চামচ
|-
| বেকিং সোডা || এক চিমটি
|-
| পানি || প্রয়োজন মতো (ঘন খামী তৈরির জন্য)
|-
| সরিষার তেল || প্রয়োজন মতো (ভাজার জন্য)
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# একটি বড় বাটিতে বেসন, চাল গুঁড়া, লবণ, হলুদ, মরিচ গুঁড়ো, ধনে গুঁড়ো, জিরা গুঁড়ো ও বেকিং সোডা মিশিয়ে নিন।
# অল্প অল্প করে পানি দিয়ে একটি ঘন ও মসৃণ খামী তৈরি করুন। খামী যেন খুব পাতলা না হয়।
# পনির চৌকগুলো খামীতে ডুবিয়ে নিন যাতে সবদিক সমানভাবে মাখানো হয়।
# কড়াইয়ে সরিষার তেল গরম করুন। মাঝারি আঁচে পনির চৌকগুলো আস্তে আস্তে দিয়ে দিন।
# একদিকে লালচে বাদামি হয়ে গেলে উল্টে দিন এবং সমানভাবে ভেজে তুলুন।
# শোষক কাগজে তুলে অতিরিক্ত তেল ঝরিয়ে পরিবেশন করুন।
<span style=color:red;><center>'''গরম গরম ধনেপাতা চাটনি, টক দই, বা টমেটো সসের সঙ্গে পরিবেশন করুন।'''</center></span>
== পরামর্শ ==
* চাইলে পনির চৌকগুলোতে আগে হালকা লবণ ও গোলমরিচ ছিটিয়ে রাখতে পারেন, এতে স্বাদ আরও গভীর হয়।
* খামীতে কাঁচা মরিচ কুঁচি বা শুকনো পুদিনা গুঁড়ো মিশিয়ে ভিন্ন স্বাদ আনা যায়।
* বেকিং সোডা না থাকলে এক চা চামচ লেবুর রস বা একটু দইও ব্যাটারে মেশানো যায়, এতে পাকোড়া আরও নরম ও খাস্তা হয়।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:বাংলাদেশি জলখাবার]]
[[Category:পনির পদ]]
15liavsrteqfvadphgua2mb66q7vahs
84727
84725
2025-06-18T00:10:11Z
Mehedi Abedin
7113
84727
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = জলখাবার
| পরিবেশন = ৪–৫ জন
| তৈরির সময় = ৩০ মিনিট
| কষ্টসাধ্য = ২
| খাদ্য শক্তি = মাঝারি
| টীকা = সুস্বাদু, মচমচে ও পুষ্টিকর নাস্তা, যা বিকেলের চায়ের সঙ্গে বা অতিথি আপ্যায়নে পরিবেশন করা যায়।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''পনির পাকোড়া'''</big></center>
পনির পাকোড়া উত্তর ভারতীয় এক জনপ্রিয় জলখাবার, যা বর্তমানে বাংলাদেশেও অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। নরম পনির চৌকো মসলা মিশ্রিত বেসনের মিশ্রণে ডুবিয়ে ডুবো তেলে ভেজে তৈরি করা হয় এই সুস্বাদু পদ। বাইরে থেকে খাস্তা এবং ভিতর থেকে নরম ও কোমল এই খাবারটি ছোট-বড় সবারই পছন্দের তালিকায় থাকে। এটি যেমন চটজলদি বানানো যায়, তেমনি পুষ্টিগুণেও সমৃদ্ধ।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! নাম !! পরিমাণ
|-
| পনির (চৌকো করে কাটা) || ২০০ গ্রাম
|-
| বেসন || ১ কাপ
|-
| চাল গুঁড়া || ২ টেবিল চামচ (অতিরিক্ত মচমচে করার জন্য)
|-
| লবণ || স্বাদমতো
|-
| হলুদ গুঁড়ো || ১/২ চা চামচ
|-
| মরিচ গুঁড়ো || ১ চা চামচ
|-
| ধনে গুঁড়ো || ১/২ চা চামচ
|-
| জিরা গুঁড়ো || ১/২ চা চামচ
|-
| বেকিং সোডা || এক চিমটি
|-
| পানি || প্রয়োজন মতো (ঘন খামী তৈরির জন্য)
|-
| সরিষার তেল || প্রয়োজন মতো (ভাজার জন্য)
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# একটি বড় বাটিতে বেসন, চাল গুঁড়া, লবণ, হলুদ, মরিচ গুঁড়ো, ধনে গুঁড়ো, জিরা গুঁড়ো ও বেকিং সোডা মিশিয়ে নিন।
# অল্প অল্প করে পানি দিয়ে একটি ঘন ও মসৃণ খামী তৈরি করুন। খামী যেন খুব পাতলা না হয়।
# পনির চৌকগুলো খামীতে ডুবিয়ে নিন যাতে সবদিক সমানভাবে মাখানো হয়।
# কড়াইয়ে সরিষার তেল গরম করুন। মাঝারি আঁচে পনির চৌকগুলো আস্তে আস্তে দিয়ে দিন।
# একদিকে লালচে বাদামি হয়ে গেলে উল্টে দিন এবং সমানভাবে ভেজে তুলুন।
# শোষক কাগজে তুলে অতিরিক্ত তেল ঝরিয়ে পরিবেশন করুন।
<span style=color:red;><center>'''গরম গরম ধনেপাতা চাটনি, টক দই, বা টমেটো সসের সঙ্গে পরিবেশন করুন।'''</center></span>
== পরামর্শ ==
* চাইলে পনির চৌকগুলোতে আগে হালকা লবণ ও গোলমরিচ ছিটিয়ে রাখতে পারেন, এতে স্বাদ আরও গভীর হয়।
* খামীতে কাঁচা মরিচ কুঁচি বা শুকনো পুদিনা গুঁড়ো মিশিয়ে ভিন্ন স্বাদ আনা যায়।
* বেকিং সোডা না থাকলে এক চা চামচ লেবুর রস বা একটু দইও ব্যাটারে মেশানো যায়, এতে পাকোড়া আরও নরম ও খাস্তা হয়।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:বাংলাদেশী জলখাবার]]
[[Category:পনির পদ]]
9ldofi7cf62ig5mqefhucuk3rqj048m
রন্ধনপ্রণালী:বাদাম ভর্তা
104
25678
84728
80053
2025-06-18T00:10:58Z
Mehedi Abedin
7113
84728
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = ভর্তা
| পরিবেশন = ৪–৫ জন
| তৈরির সময় = ২৫ মিনিট
| কষ্টসাধ্য = ২
| খাদ্য শক্তি = উচ্চ
| টীকা = বাদাম ভর্তা একটি সহজ কিন্তু অতুলনীয় স্বাদের ঘরোয়া পদ যা ভাতের সঙ্গে এক অসাধারণ অনুষঙ্গ।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''বাদাম ভর্তা'''</big></center>
বাংলাদেশি রন্ধনসংস্কৃতিতে ভর্তার ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভর্তা মানেই শুধুমাত্র আলু নয়, নানা ধরনের ডাল, মাছ, শাক কিংবা বাদাম দিয়েও অসাধারণ ভর্তা তৈরি করা যায়। বাদাম ভর্তা তাদের মধ্যে অন্যতম একটি যা সহজলভ্য উপকরণ দিয়ে খুব অল্প সময়ে তৈরি করা যায় এবং স্বাদে অনন্য। এটি এমন এক পদ যা গ্রাম্য খাবারের সঙ্গে যেমন মানানসই, তেমনি শহুরে খাবার টেবিলেও দারুণ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে যারা ঝাল ও ঘ্রাণযুক্ত ভর্তা পছন্দ করেন, তাদের জন্য বাদাম ভর্তা একেবারেই নিখুঁত একটি পছন্দ।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! নাম !! পরিমাণ
|-
| চিনাবাদাম (খোসা ছাড়ানো) || ১ কাপ
|-
| পেঁয়াজ কুচি || ১/২ কাপ
|-
| শুকনো মরিচ || ৪–৫টি (স্বাদমতো)
|-
| রসুন কোয়া || ২–৩টি
|-
| সরিষার তেল || ২ টেবিল চামচ
|-
| লবণ || স্বাদমতো
|-
| ধনে পাতা কুচি || ২ টেবিল চামচ (ঐচ্ছিক)
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# প্রথমে খোসা ছাড়ানো বাদাম শুকনো কড়াইয়ে হালকা করে ভেজে নিন যতক্ষণ না বাদামের গায়ে সোনালি রঙ আসে এবং হালকা গন্ধ ছাড়ে। এই ভাজা বাদামই ভর্তার স্বাদে গভীরতা এনে দেয়।
# এরপর শুকনো মরিচ ও রসুনও সামান্য তেলে হালকা ভেজে নিতে পারেন, এতে ঝাঁজ ও ঘ্রাণ উভয়ই মিশে যাবে।
# সব উপকরণ ঠান্ডা হলে শিলপাটা বা মিক্সারে বাদাম, মরিচ, রসুন ও লবণ একসঙ্গে বেটে নিন। একদম মসৃণ বা অতিরিক্ত কুচি করা নয়, হালকা দানাদার রাখলে খেতে ভালো লাগে।
# এবার একটি পাত্রে বাটা মিশ্রণটি নিন, তার সঙ্গে কুচানো পেঁয়াজ ও সরিষার তেল মিশিয়ে ভালোভাবে হাত দিয়ে মেখে নিন।
# চাইলে সামান্য ধনে পাতা কুচি মিশিয়ে দিতে পারেন স্বাদ ও ঘ্রাণ বৃদ্ধির জন্য।
# একটি ছোট বাটিতে পরিবেশন করুন গরম গরম ভাতের সঙ্গে।
== পরিবেশন ==
বাদাম ভর্তা সাধারণত সাদাভাতের সঙ্গে পরিবেশন করা হয়। তবে এটি ডাল, ভাজি বা মাছের ঝোলের সঙ্গেও চমৎকার মানানসই। বর্ষার দিনে গরম ভাতে এক চামচ বাদাম ভর্তা, সঙ্গে শুকনো মরিচ ভাজা ও ডাল — এমন সরল একটি খাবারও হয়ে উঠতে পারে রাজকীয়। এটি শুধু স্বাদের জন্য নয়, খাবারের স্বাচ্ছন্দ্য বাড়ানোর জন্যও বিশেষ উপযোগী।
== পরামর্শ ==
* বাদাম ভর্তা তৈরিতে সরিষার তেল অপরিহার্য, কারণ এটি স্বাদে আলাদা একটি দেশি ঘ্রাণ আনে যা অন্য কোনো তেলে সম্ভব নয়।
* ভর্তার ঝাল মাত্রা নিয়ন্ত্রণে শুকনো মরিচ কম-বেশি করে নিতে পারেন। অনেকে কাঁচা মরিচও ব্যবহার করেন অতিরিক্ত ঝাঁজের জন্য।
* চাইলে বাটার সময় এক চিমটি চিনি যোগ করতে পারেন যা বাদামের স্বাদকে ভারসাম্যপূর্ণ করে।
== স্বাস্থ্য উপকারিতা ও ঝুঁকি ==
বাদাম একটি শক্তিশালী পুষ্টিকর উপাদান। এতে রয়েছে প্রোটিন, স্বাস্থ্যকর চর্বি, ম্যাগনেশিয়াম, ভিটামিন ই এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা শরীরের কোষের সুরক্ষায় সহায়ক। নিয়মিত বাদাম খেলে হার্টের স্বাস্থ্য ভালো থাকে এবং রক্তে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকে। তবে এই ভর্তা যেহেতু তেলে ও বাদামে সমৃদ্ধ, তাই যাদের ওজন বা চর্বিজনিত রোগ আছে, তাদের জন্য সীমিত পরিমাণে খাওয়াই বাঞ্ছনীয়।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:ভর্তা]]
[[Category:বাংলাদেশি খাবার]]
[[Category:গ্রামীণ পদ]]
[[Category:চিনাবাদাম পদ]]
hwd3gh4nifznn8e5jc5w9mc3lgewqbu
84729
84728
2025-06-18T00:11:06Z
Mehedi Abedin
7113
84729
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = ভর্তা
| পরিবেশন = ৪–৫ জন
| তৈরির সময় = ২৫ মিনিট
| কষ্টসাধ্য = ২
| খাদ্য শক্তি = উচ্চ
| টীকা = বাদাম ভর্তা একটি সহজ কিন্তু অতুলনীয় স্বাদের ঘরোয়া পদ যা ভাতের সঙ্গে এক অসাধারণ অনুষঙ্গ।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''বাদাম ভর্তা'''</big></center>
বাংলাদেশি রন্ধনসংস্কৃতিতে ভর্তার ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভর্তা মানেই শুধুমাত্র আলু নয়, নানা ধরনের ডাল, মাছ, শাক কিংবা বাদাম দিয়েও অসাধারণ ভর্তা তৈরি করা যায়। বাদাম ভর্তা তাদের মধ্যে অন্যতম একটি যা সহজলভ্য উপকরণ দিয়ে খুব অল্প সময়ে তৈরি করা যায় এবং স্বাদে অনন্য। এটি এমন এক পদ যা গ্রাম্য খাবারের সঙ্গে যেমন মানানসই, তেমনি শহুরে খাবার টেবিলেও দারুণ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে যারা ঝাল ও ঘ্রাণযুক্ত ভর্তা পছন্দ করেন, তাদের জন্য বাদাম ভর্তা একেবারেই নিখুঁত একটি পছন্দ।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! নাম !! পরিমাণ
|-
| চিনাবাদাম (খোসা ছাড়ানো) || ১ কাপ
|-
| পেঁয়াজ কুচি || ১/২ কাপ
|-
| শুকনো মরিচ || ৪–৫টি (স্বাদমতো)
|-
| রসুন কোয়া || ২–৩টি
|-
| সরিষার তেল || ২ টেবিল চামচ
|-
| লবণ || স্বাদমতো
|-
| ধনে পাতা কুচি || ২ টেবিল চামচ (ঐচ্ছিক)
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# প্রথমে খোসা ছাড়ানো বাদাম শুকনো কড়াইয়ে হালকা করে ভেজে নিন যতক্ষণ না বাদামের গায়ে সোনালি রঙ আসে এবং হালকা গন্ধ ছাড়ে। এই ভাজা বাদামই ভর্তার স্বাদে গভীরতা এনে দেয়।
# এরপর শুকনো মরিচ ও রসুনও সামান্য তেলে হালকা ভেজে নিতে পারেন, এতে ঝাঁজ ও ঘ্রাণ উভয়ই মিশে যাবে।
# সব উপকরণ ঠান্ডা হলে শিলপাটা বা মিক্সারে বাদাম, মরিচ, রসুন ও লবণ একসঙ্গে বেটে নিন। একদম মসৃণ বা অতিরিক্ত কুচি করা নয়, হালকা দানাদার রাখলে খেতে ভালো লাগে।
# এবার একটি পাত্রে বাটা মিশ্রণটি নিন, তার সঙ্গে কুচানো পেঁয়াজ ও সরিষার তেল মিশিয়ে ভালোভাবে হাত দিয়ে মেখে নিন।
# চাইলে সামান্য ধনে পাতা কুচি মিশিয়ে দিতে পারেন স্বাদ ও ঘ্রাণ বৃদ্ধির জন্য।
# একটি ছোট বাটিতে পরিবেশন করুন গরম গরম ভাতের সঙ্গে।
== পরিবেশন ==
বাদাম ভর্তা সাধারণত সাদাভাতের সঙ্গে পরিবেশন করা হয়। তবে এটি ডাল, ভাজি বা মাছের ঝোলের সঙ্গেও চমৎকার মানানসই। বর্ষার দিনে গরম ভাতে এক চামচ বাদাম ভর্তা, সঙ্গে শুকনো মরিচ ভাজা ও ডাল — এমন সরল একটি খাবারও হয়ে উঠতে পারে রাজকীয়। এটি শুধু স্বাদের জন্য নয়, খাবারের স্বাচ্ছন্দ্য বাড়ানোর জন্যও বিশেষ উপযোগী।
== পরামর্শ ==
* বাদাম ভর্তা তৈরিতে সরিষার তেল অপরিহার্য, কারণ এটি স্বাদে আলাদা একটি দেশি ঘ্রাণ আনে যা অন্য কোনো তেলে সম্ভব নয়।
* ভর্তার ঝাল মাত্রা নিয়ন্ত্রণে শুকনো মরিচ কম-বেশি করে নিতে পারেন। অনেকে কাঁচা মরিচও ব্যবহার করেন অতিরিক্ত ঝাঁজের জন্য।
* চাইলে বাটার সময় এক চিমটি চিনি যোগ করতে পারেন যা বাদামের স্বাদকে ভারসাম্যপূর্ণ করে।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:ভর্তা]]
[[Category:বাংলাদেশি খাবার]]
[[Category:গ্রামীণ পদ]]
[[Category:চিনাবাদাম পদ]]
h75noo90s4hlctfutuec0syqi009dt6
84730
84729
2025-06-18T00:11:24Z
Mehedi Abedin
7113
84730
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = ভর্তা
| পরিবেশন = ৪–৫ জন
| তৈরির সময় = ২৫ মিনিট
| কষ্টসাধ্য = ২
| খাদ্য শক্তি = উচ্চ
| টীকা = বাদাম ভর্তা একটি সহজ কিন্তু অতুলনীয় স্বাদের ঘরোয়া পদ যা ভাতের সঙ্গে এক অসাধারণ অনুষঙ্গ।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''বাদাম ভর্তা'''</big></center>
বাংলাদেশি রন্ধনসংস্কৃতিতে ভর্তার ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভর্তা মানেই শুধুমাত্র আলু নয়, নানা ধরনের ডাল, মাছ, শাক কিংবা বাদাম দিয়েও অসাধারণ ভর্তা তৈরি করা যায়। বাদাম ভর্তা তাদের মধ্যে অন্যতম একটি যা সহজলভ্য উপকরণ দিয়ে খুব অল্প সময়ে তৈরি করা যায় এবং স্বাদে অনন্য। এটি এমন এক পদ যা গ্রাম্য খাবারের সঙ্গে যেমন মানানসই, তেমনি শহুরে খাবার টেবিলেও দারুণ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে যারা ঝাল ও ঘ্রাণযুক্ত ভর্তা পছন্দ করেন, তাদের জন্য বাদাম ভর্তা একেবারেই নিখুঁত একটি পছন্দ।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! নাম !! পরিমাণ
|-
| চিনাবাদাম (খোসা ছাড়ানো) || ১ কাপ
|-
| পেঁয়াজ কুচি || ১/২ কাপ
|-
| শুকনো মরিচ || ৪–৫টি (স্বাদমতো)
|-
| রসুন কোয়া || ২–৩টি
|-
| সরিষার তেল || ২ টেবিল চামচ
|-
| লবণ || স্বাদমতো
|-
| ধনে পাতা কুচি || ২ টেবিল চামচ (ঐচ্ছিক)
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# প্রথমে খোসা ছাড়ানো বাদাম শুকনো কড়াইয়ে হালকা করে ভেজে নিন যতক্ষণ না বাদামের গায়ে সোনালি রঙ আসে এবং হালকা গন্ধ ছাড়ে। এই ভাজা বাদামই ভর্তার স্বাদে গভীরতা এনে দেয়।
# এরপর শুকনো মরিচ ও রসুনও সামান্য তেলে হালকা ভেজে নিতে পারেন, এতে ঝাঁজ ও ঘ্রাণ উভয়ই মিশে যাবে।
# সব উপকরণ ঠান্ডা হলে শিলপাটা বা মিক্সারে বাদাম, মরিচ, রসুন ও লবণ একসঙ্গে বেটে নিন। একদম মসৃণ বা অতিরিক্ত কুচি করা নয়, হালকা দানাদার রাখলে খেতে ভালো লাগে।
# এবার একটি পাত্রে বাটা মিশ্রণটি নিন, তার সঙ্গে কুচানো পেঁয়াজ ও সরিষার তেল মিশিয়ে ভালোভাবে হাত দিয়ে মেখে নিন।
# চাইলে সামান্য ধনে পাতা কুচি মিশিয়ে দিতে পারেন স্বাদ ও ঘ্রাণ বৃদ্ধির জন্য।
# একটি ছোট বাটিতে পরিবেশন করুন গরম গরম ভাতের সঙ্গে।
== পরামর্শ ==
* বাদাম ভর্তা তৈরিতে সরিষার তেল অপরিহার্য, কারণ এটি স্বাদে আলাদা একটি দেশি ঘ্রাণ আনে যা অন্য কোনো তেলে সম্ভব নয়।
* ভর্তার ঝাল মাত্রা নিয়ন্ত্রণে শুকনো মরিচ কম-বেশি করে নিতে পারেন। অনেকে কাঁচা মরিচও ব্যবহার করেন অতিরিক্ত ঝাঁজের জন্য।
* চাইলে বাটার সময় এক চিমটি চিনি যোগ করতে পারেন যা বাদামের স্বাদকে ভারসাম্যপূর্ণ করে।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:ভর্তা]]
[[Category:বাংলাদেশি খাবার]]
[[Category:গ্রামীণ পদ]]
[[Category:চিনাবাদাম পদ]]
c9rqg8ht0f5e6062mqzjiug6sc3i6si
84731
84730
2025-06-18T00:11:38Z
Mehedi Abedin
7113
84731
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = ভর্তা
| পরিবেশন = ৪–৫ জন
| তৈরির সময় = ২৫ মিনিট
| কষ্টসাধ্য = ২
| খাদ্য শক্তি = উচ্চ
| টীকা = বাদাম ভর্তা একটি সহজ কিন্তু অতুলনীয় স্বাদের ঘরোয়া পদ যা ভাতের সঙ্গে এক অসাধারণ অনুষঙ্গ।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''বাদাম ভর্তা'''</big></center>
বাংলাদেশি রন্ধনসংস্কৃতিতে ভর্তার ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভর্তা মানেই শুধুমাত্র আলু নয়, নানা ধরনের ডাল, মাছ, শাক কিংবা বাদাম দিয়েও অসাধারণ ভর্তা তৈরি করা যায়। বাদাম ভর্তা তাদের মধ্যে অন্যতম একটি যা সহজলভ্য উপকরণ দিয়ে খুব অল্প সময়ে তৈরি করা যায় এবং স্বাদে অনন্য। এটি এমন এক পদ যা গ্রাম্য খাবারের সঙ্গে যেমন মানানসই, তেমনি শহুরে খাবার টেবিলেও দারুণ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে যারা ঝাল ও ঘ্রাণযুক্ত ভর্তা পছন্দ করেন, তাদের জন্য বাদাম ভর্তা একেবারেই নিখুঁত একটি পছন্দ।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! নাম !! পরিমাণ
|-
| চিনাবাদাম (খোসা ছাড়ানো) || ১ কাপ
|-
| পেঁয়াজ কুচি || ১/২ কাপ
|-
| শুকনো মরিচ || ৪–৫টি (স্বাদমতো)
|-
| রসুন কোয়া || ২–৩টি
|-
| সরিষার তেল || ২ টেবিল চামচ
|-
| লবণ || স্বাদমতো
|-
| ধনে পাতা কুচি || ২ টেবিল চামচ (ঐচ্ছিক)
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# প্রথমে খোসা ছাড়ানো বাদাম শুকনো কড়াইয়ে হালকা করে ভেজে নিন যতক্ষণ না বাদামের গায়ে সোনালি রঙ আসে এবং হালকা গন্ধ ছাড়ে। এই ভাজা বাদামই ভর্তার স্বাদে গভীরতা এনে দেয়।
# এরপর শুকনো মরিচ ও রসুনও সামান্য তেলে হালকা ভেজে নিতে পারেন, এতে ঝাঁজ ও ঘ্রাণ উভয়ই মিশে যাবে।
# সব উপকরণ ঠান্ডা হলে শিলপাটা বা মিক্সারে বাদাম, মরিচ, রসুন ও লবণ একসঙ্গে বেটে নিন। একদম মসৃণ বা অতিরিক্ত কুচি করা নয়, হালকা দানাদার রাখলে খেতে ভালো লাগে।
# এবার একটি পাত্রে বাটা মিশ্রণটি নিন, তার সঙ্গে কুচানো পেঁয়াজ ও সরিষার তেল মিশিয়ে ভালোভাবে হাত দিয়ে মেখে নিন।
# চাইলে সামান্য ধনে পাতা কুচি মিশিয়ে দিতে পারেন স্বাদ ও ঘ্রাণ বৃদ্ধির জন্য।
<span style=color:red;><center>'''একটি ছোট বাটিতে পরিবেশন করুন গরম গরম ভাতের সঙ্গে।'''</center></span>
== পরামর্শ ==
* বাদাম ভর্তা তৈরিতে সরিষার তেল অপরিহার্য, কারণ এটি স্বাদে আলাদা একটি দেশি ঘ্রাণ আনে যা অন্য কোনো তেলে সম্ভব নয়।
* ভর্তার ঝাল মাত্রা নিয়ন্ত্রণে শুকনো মরিচ কম-বেশি করে নিতে পারেন। অনেকে কাঁচা মরিচও ব্যবহার করেন অতিরিক্ত ঝাঁজের জন্য।
* চাইলে বাটার সময় এক চিমটি চিনি যোগ করতে পারেন যা বাদামের স্বাদকে ভারসাম্যপূর্ণ করে।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:ভর্তা]]
[[Category:বাংলাদেশি খাবার]]
[[Category:গ্রামীণ পদ]]
[[Category:চিনাবাদাম পদ]]
s612a8zsipb1bafat3lgca8wwcdjeos
84732
84731
2025-06-18T00:12:18Z
Mehedi Abedin
7113
84732
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = ভর্তা
| পরিবেশন = ৪–৫ জন
| তৈরির সময় = ২৫ মিনিট
| কষ্টসাধ্য = ২
| খাদ্য শক্তি = উচ্চ
| টীকা = সহজ কিন্তু অতুলনীয় স্বাদের ঘরোয়া পদ যা ভাতের সঙ্গে এক অসাধারণ অনুষঙ্গ।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''বাদাম ভর্তা'''</big></center>
বাংলাদেশি রন্ধনসংস্কৃতিতে ভর্তার ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভর্তা মানেই শুধুমাত্র আলু নয়, নানা ধরনের ডাল, মাছ, শাক কিংবা বাদাম দিয়েও অসাধারণ ভর্তা তৈরি করা যায়। বাদাম ভর্তা তাদের মধ্যে অন্যতম একটি যা সহজলভ্য উপকরণ দিয়ে খুব অল্প সময়ে তৈরি করা যায় এবং স্বাদে অনন্য। এটি এমন এক পদ যা গ্রাম্য খাবারের সঙ্গে যেমন মানানসই, তেমনি শহুরে খাবার টেবিলেও দারুণ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে যারা ঝাল ও ঘ্রাণযুক্ত ভর্তা পছন্দ করেন, তাদের জন্য বাদাম ভর্তা একেবারেই দারুন একটি পছন্দ।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! নাম !! পরিমাণ
|-
| চিনাবাদাম (খোসা ছাড়ানো) || ১ কাপ
|-
| পেঁয়াজ কুচি || ১/২ কাপ
|-
| শুকনো মরিচ || ৪–৫টি (স্বাদমতো)
|-
| রসুন কোয়া || ২–৩টি
|-
| সরিষার তেল || ২ টেবিল চামচ
|-
| লবণ || স্বাদমতো
|-
| ধনে পাতা কুচি || ২ টেবিল চামচ (ঐচ্ছিক)
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# প্রথমে খোসা ছাড়ানো বাদাম শুকনো কড়াইয়ে হালকা করে ভেজে নিন যতক্ষণ না বাদামের গায়ে সোনালি রঙ আসে এবং হালকা গন্ধ ছাড়ে। এই ভাজা বাদামই ভর্তার স্বাদে গভীরতা এনে দেয়।
# এরপর শুকনো মরিচ ও রসুনও সামান্য তেলে হালকা ভেজে নিতে পারেন, এতে ঝাঁজ ও ঘ্রাণ উভয়ই মিশে যাবে।
# সব উপকরণ ঠান্ডা হলে শিলপাটা বা মিক্সারে বাদাম, মরিচ, রসুন ও লবণ একসঙ্গে বেটে নিন। একদম মসৃণ বা অতিরিক্ত কুচি করা নয়, হালকা দানাদার রাখলে খেতে ভালো লাগে।
# এবার একটি পাত্রে বাটা মিশ্রণটি নিন, তার সঙ্গে কুচানো পেঁয়াজ ও সরিষার তেল মিশিয়ে ভালোভাবে হাত দিয়ে মেখে নিন।
# চাইলে সামান্য ধনে পাতা কুচি মিশিয়ে দিতে পারেন স্বাদ ও ঘ্রাণ বৃদ্ধির জন্য।
<span style=color:red;><center>'''একটি ছোট বাটিতে পরিবেশন করুন গরম গরম ভাতের সঙ্গে।'''</center></span>
== পরামর্শ ==
* বাদাম ভর্তা তৈরিতে সরিষার তেল অপরিহার্য, কারণ এটি স্বাদে আলাদা একটি দেশি ঘ্রাণ আনে যা অন্য কোনো তেলে সম্ভব নয়।
* ভর্তার ঝাল মাত্রা নিয়ন্ত্রণে শুকনো মরিচ কম-বেশি করে নিতে পারেন। অনেকে কাঁচা মরিচও ব্যবহার করেন অতিরিক্ত ঝাঁজের জন্য।
* চাইলে বাটার সময় এক চিমটি চিনি যোগ করতে পারেন যা বাদামের স্বাদকে ভারসাম্যপূর্ণ করে।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:ভর্তা]]
[[Category:বাংলাদেশি খাবার]]
[[Category:গ্রামীণ পদ]]
[[Category:চিনাবাদাম পদ]]
dxbhjfusnl7nmxjr32fu2syksf1434l
84733
84732
2025-06-18T00:12:59Z
Mehedi Abedin
7113
84733
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = ভর্তা
| পরিবেশন = ৪–৫ জন
| তৈরির সময় = ২৫ মিনিট
| কষ্টসাধ্য = ২
| খাদ্য শক্তি = উচ্চ
| টীকা = সহজ কিন্তু অতুলনীয় স্বাদের ঘরোয়া পদ যা ভাতের সঙ্গে এক অসাধারণ অনুষঙ্গ।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''বাদাম ভর্তা'''</big></center>
বাংলাদেশি রন্ধনসংস্কৃতিতে ভর্তার ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভর্তা মানেই শুধুমাত্র আলু নয়, নানা ধরনের ডাল, মাছ, শাক কিংবা বাদাম দিয়েও অসাধারণ ভর্তা তৈরি করা যায়। বাদাম ভর্তা তাদের মধ্যে অন্যতম একটি যা সহজলভ্য উপকরণ দিয়ে খুব অল্প সময়ে তৈরি করা যায় এবং স্বাদে অনন্য। এটি এমন এক পদ যা গ্রাম্য খাবারের সঙ্গে যেমন মানানসই, তেমনি শহুরে খাবার টেবিলেও দারুণ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে যারা ঝাল ও ঘ্রাণযুক্ত ভর্তা পছন্দ করেন, তাদের জন্য বাদাম ভর্তা একেবারেই দারুন একটি পছন্দ।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! নাম !! পরিমাণ
|-
| চিনাবাদাম (খোসা ছাড়ানো) || ১ কাপ
|-
| পেঁয়াজ কুচি || ১/২ কাপ
|-
| শুকনো মরিচ || ৪–৫টি (স্বাদমতো)
|-
| রসুন কোয়া || ২–৩টি
|-
| সরিষার তেল || ২ টেবিল চামচ
|-
| লবণ || স্বাদমতো
|-
| ধনে পাতা কুচি || ২ টেবিল চামচ (ঐচ্ছিক)
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# প্রথমে খোসা ছাড়ানো বাদাম শুকনো কড়াইয়ে হালকা করে ভেজে নিন যতক্ষণ না বাদামের গায়ে সোনালি রঙ আসে এবং হালকা গন্ধ ছাড়ে। এই ভাজা বাদামই ভর্তার স্বাদে তীব্রতা এনে দেয়।
# এরপর শুকনো মরিচ ও রসুনও সামান্য তেলে হালকা ভেজে নিতে পারেন, এতে ঝাঁজ ও ঘ্রাণ উভয়ই মিশে যাবে।
# সব উপকরণ ঠান্ডা হলে শিলপাটা বা মিক্সারে বাদাম, মরিচ, রসুন ও লবণ একসঙ্গে বেটে নিন। একদম মসৃণ বা অতিরিক্ত কুচি করা নয়, হালকা দানাদার রাখলে খেতে ভালো লাগে।
# এবার একটি পাত্রে বাটা মিশ্রণটি নিন, তার সঙ্গে কুচানো পেঁয়াজ ও সরিষার তেল মিশিয়ে ভালোভাবে হাত দিয়ে মেখে নিন।
# চাইলে সামান্য ধনে পাতা কুচি মিশিয়ে দিতে পারেন স্বাদ ও ঘ্রাণ বৃদ্ধির জন্য।
<span style=color:red;><center>'''একটি ছোট বাটিতে পরিবেশন করুন গরম গরম ভাতের সঙ্গে।'''</center></span>
== পরামর্শ ==
* বাদাম ভর্তা তৈরিতে সরিষার তেল অপরিহার্য, কারণ এটি স্বাদে আলাদা একটি দেশি ঘ্রাণ আনে যা অন্য কোনো তেলে সম্ভব নয়।
* ভর্তার ঝাল মাত্রা নিয়ন্ত্রণে শুকনো মরিচ কম-বেশি করে নিতে পারেন। অনেকে কাঁচা মরিচও ব্যবহার করেন অতিরিক্ত ঝাঁজের জন্য।
* চাইলে বাটার সময় এক চিমটি চিনি যোগ করতে পারেন যা বাদামের স্বাদকে ভারসাম্যপূর্ণ করে।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:ভর্তা]]
[[Category:বাংলাদেশি খাবার]]
[[Category:গ্রামীণ পদ]]
[[Category:চিনাবাদাম পদ]]
5dgq37bqmvnnghv7748eq8pi7eknhri
রন্ধনপ্রণালী:জিরা পানি
104
25680
84734
80059
2025-06-18T00:13:57Z
Mehedi Abedin
7113
84734
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = পানীয়
| পরিবেশন = ৪–৫ জন
| তৈরির সময় = ১৫ মিনিট (সহজ)
| কষ্টসাধ্য = ১
| খাদ্য শক্তি = কম
| টীকা = জিরা পানি একটি প্রাচীন আয়ুর্বেদিক পানীয় যা হজমশক্তি বৃদ্ধি, পেটের সমস্যা দূরীকরণ এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''জিরা পানি'''</big></center>
জিরা পানি বাংলার ঘরে ঘরে বহু প্রাচীনকাল ধরে ব্যবহার হয়ে আসছে একটি প্রাকৃতিক হজমবর্ধক ও উপকারী পানীয় হিসেবে। বিশেষ করে গ্রীষ্মকালে শরীর ঠান্ডা রাখতে ও পেট পরিষ্কার রাখতে এটি দারুণ কার্যকর। নানা আয়ুর্বেদিক শাস্ত্রে জিরাকে ‘অগ্নিদীপক’ বা হজমশক্তি জাগানোর উপাদান হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। এটি শুধু স্বাদে নয়, উপকারেও ভরপুর। দৈনন্দিন জীবনের ভাজাপোড়া, তৈলাক্ত খাবারের ভারসাম্য রক্ষায় এই সাধারণ পানীয়ই হতে পারে আপনার সুস্থতার এক গুরুত্বপূর্ণ সহচর।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! নাম !! পরিমাণ
|-
| জিরা || ২ টেবিল চামচ
|-
| পানি || ৪ কাপ
|-
| লেবুর রস || ১ টেবিল চামচ (ঐচ্ছিক)
|-
| মধু || ১ চা চামচ (ঐচ্ছিক)
|-
| বিট লবণ || ১/২ চা চামচ (ঐচ্ছিক)
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# একটি শুকনো কড়াইতে জিরা হালকা করে ভাজুন যতক্ষণ না জিরা থেকে সুগন্ধ বের হয় এবং রঙ হালকা গাঢ় হয়।
# এরপর ভাজা জিরা ঠান্ডা হলে এক কাপ পানিতে ভিজিয়ে রাখুন অন্তত ১ ঘণ্টা বা সারা রাত।
# ভিজিয়ে রাখা জিরাসহ পানি একটি পাত্রে ঢেলে আরও ৩ কাপ পানি মেশান।
# চাইলে এই মিশ্রণে বিট লবণ, লেবুর রস এবং সামান্য মধু যোগ করতে পারেন স্বাদ ও পুষ্টি বৃদ্ধির জন্য।
# ভালোভাবে মিশিয়ে ঠান্ডা অবস্থায় পরিবেশন করুন।
== পরিবেশন ==
জিরা পানি ঠান্ডা অবস্থায় সকালে খালি পেটে খাওয়া সবচেয়ে উপকারী। এটি শুধু পেটকে সতেজ করে না, বরং সারাদিন হজমপ্রক্রিয়া সক্রিয় রাখে। গ্রীষ্মকালে ঠান্ডা জিরা পানি শরীরকে হাইড্রেটেড (পানিপূর্ণ) রাখতেও সাহায্য করে। আপনি চাইলে দুপুরে বা খাবারের পরেও এটি পান করতে পারেন।
== পরামর্শ ==
* যদি আপনি ওজন কমানোর চিন্তা করছেন, তাহলে সকালে খালি পেটে জিরা পানি খাওয়া বেশ কার্যকর।
* রোজকার পানীয় তালিকায় একে অন্তর্ভুক্ত করলে গ্যাস্ট্রিক, অ্যাসিডিটি, বদহজমের সমস্যা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আসে।
* ডায়াবেটিক রোগীদের জন্যও মধু না দিয়ে শুধু জিরা পানি খাওয়া উপযোগী।
== স্বাস্থ্য উপকারিতা ও ঝুঁকি ==
জিরা হজমশক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে, অম্বল ও গ্যাসের সমস্যা কমায় এবং পেট পরিষ্কার রাখে। এছাড়াও এতে রয়েছে আয়রন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং প্রদাহনাশক উপাদান। নিয়মিত জিরা পানি খেলে লিভার কার্যকারিতা উন্নত হয় এবং শরীরের টক্সিন বের হয়ে যায়। তবে অতিরিক্ত খেলে গ্যাস্ট্রিক অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে, তাই নিয়ম মেনে পান করাই শ্রেয়।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:পানীয়]]
[[Category:স্বাস্থ্যকর পানীয়]]
[[Category:আয়ুর্বেদিক খাবার]]
[[Category:বাংলাদেশি পানীয়]]
13okcvt3cakjcqmxo8xqtknjveyilap
84735
84734
2025-06-18T00:14:05Z
Mehedi Abedin
7113
84735
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = পানীয়
| পরিবেশন = ৪–৫ জন
| তৈরির সময় = ১৫ মিনিট (সহজ)
| কষ্টসাধ্য = ১
| খাদ্য শক্তি = কম
| টীকা = জিরা পানি একটি প্রাচীন আয়ুর্বেদিক পানীয় যা হজমশক্তি বৃদ্ধি, পেটের সমস্যা দূরীকরণ এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''জিরা পানি'''</big></center>
জিরা পানি বাংলার ঘরে ঘরে বহু প্রাচীনকাল ধরে ব্যবহার হয়ে আসছে একটি প্রাকৃতিক হজমবর্ধক ও উপকারী পানীয় হিসেবে। বিশেষ করে গ্রীষ্মকালে শরীর ঠান্ডা রাখতে ও পেট পরিষ্কার রাখতে এটি দারুণ কার্যকর। নানা আয়ুর্বেদিক শাস্ত্রে জিরাকে ‘অগ্নিদীপক’ বা হজমশক্তি জাগানোর উপাদান হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। এটি শুধু স্বাদে নয়, উপকারেও ভরপুর। দৈনন্দিন জীবনের ভাজাপোড়া, তৈলাক্ত খাবারের ভারসাম্য রক্ষায় এই সাধারণ পানীয়ই হতে পারে আপনার সুস্থতার এক গুরুত্বপূর্ণ সহচর।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! নাম !! পরিমাণ
|-
| জিরা || ২ টেবিল চামচ
|-
| পানি || ৪ কাপ
|-
| লেবুর রস || ১ টেবিল চামচ (ঐচ্ছিক)
|-
| মধু || ১ চা চামচ (ঐচ্ছিক)
|-
| বিট লবণ || ১/২ চা চামচ (ঐচ্ছিক)
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# একটি শুকনো কড়াইতে জিরা হালকা করে ভাজুন যতক্ষণ না জিরা থেকে সুগন্ধ বের হয় এবং রঙ হালকা গাঢ় হয়।
# এরপর ভাজা জিরা ঠান্ডা হলে এক কাপ পানিতে ভিজিয়ে রাখুন অন্তত ১ ঘণ্টা বা সারা রাত।
# ভিজিয়ে রাখা জিরাসহ পানি একটি পাত্রে ঢেলে আরও ৩ কাপ পানি মেশান।
# চাইলে এই মিশ্রণে বিট লবণ, লেবুর রস এবং সামান্য মধু যোগ করতে পারেন স্বাদ ও পুষ্টি বৃদ্ধির জন্য।
# ভালোভাবে মিশিয়ে ঠান্ডা অবস্থায় পরিবেশন করুন।
== পরিবেশন ==
জিরা পানি ঠান্ডা অবস্থায় সকালে খালি পেটে খাওয়া সবচেয়ে উপকারী। এটি শুধু পেটকে সতেজ করে না, বরং সারাদিন হজমপ্রক্রিয়া সক্রিয় রাখে। গ্রীষ্মকালে ঠান্ডা জিরা পানি শরীরকে হাইড্রেটেড (পানিপূর্ণ) রাখতেও সাহায্য করে। আপনি চাইলে দুপুরে বা খাবারের পরেও এটি পান করতে পারেন।
== পরামর্শ ==
* যদি আপনি ওজন কমানোর চিন্তা করছেন, তাহলে সকালে খালি পেটে জিরা পানি খাওয়া বেশ কার্যকর।
* রোজকার পানীয় তালিকায় একে অন্তর্ভুক্ত করলে গ্যাস্ট্রিক, অ্যাসিডিটি, বদহজমের সমস্যা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আসে।
* ডায়াবেটিক রোগীদের জন্যও মধু না দিয়ে শুধু জিরা পানি খাওয়া উপযোগী।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:পানীয়]]
[[Category:স্বাস্থ্যকর পানীয়]]
[[Category:আয়ুর্বেদিক খাবার]]
[[Category:বাংলাদেশি পানীয়]]
1dc5spgdb0foxkcjv55p9zn5rseruls
84736
84735
2025-06-18T00:14:16Z
Mehedi Abedin
7113
84736
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = পানীয়
| পরিবেশন = ৪–৫ জন
| তৈরির সময় = ১৫ মিনিট (সহজ)
| কষ্টসাধ্য = ১
| খাদ্য শক্তি = কম
| টীকা = জিরা পানি একটি প্রাচীন আয়ুর্বেদিক পানীয় যা হজমশক্তি বৃদ্ধি, পেটের সমস্যা দূরীকরণ এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''জিরা পানি'''</big></center>
জিরা পানি বাংলার ঘরে ঘরে বহু প্রাচীনকাল ধরে ব্যবহার হয়ে আসছে একটি প্রাকৃতিক হজমবর্ধক ও উপকারী পানীয় হিসেবে। বিশেষ করে গ্রীষ্মকালে শরীর ঠান্ডা রাখতে ও পেট পরিষ্কার রাখতে এটি দারুণ কার্যকর। নানা আয়ুর্বেদিক শাস্ত্রে জিরাকে ‘অগ্নিদীপক’ বা হজমশক্তি জাগানোর উপাদান হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। এটি শুধু স্বাদে নয়, উপকারেও ভরপুর। দৈনন্দিন জীবনের ভাজাপোড়া, তৈলাক্ত খাবারের ভারসাম্য রক্ষায় এই সাধারণ পানীয়ই হতে পারে আপনার সুস্থতার এক গুরুত্বপূর্ণ সহচর।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! নাম !! পরিমাণ
|-
| জিরা || ২ টেবিল চামচ
|-
| পানি || ৪ কাপ
|-
| লেবুর রস || ১ টেবিল চামচ (ঐচ্ছিক)
|-
| মধু || ১ চা চামচ (ঐচ্ছিক)
|-
| বিট লবণ || ১/২ চা চামচ (ঐচ্ছিক)
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# একটি শুকনো কড়াইতে জিরা হালকা করে ভাজুন যতক্ষণ না জিরা থেকে সুগন্ধ বের হয় এবং রঙ হালকা গাঢ় হয়।
# এরপর ভাজা জিরা ঠান্ডা হলে এক কাপ পানিতে ভিজিয়ে রাখুন অন্তত ১ ঘণ্টা বা সারা রাত।
# ভিজিয়ে রাখা জিরাসহ পানি একটি পাত্রে ঢেলে আরও ৩ কাপ পানি মেশান।
# চাইলে এই মিশ্রণে বিট লবণ, লেবুর রস এবং সামান্য মধু যোগ করতে পারেন স্বাদ ও পুষ্টি বৃদ্ধির জন্য।
# ভালোভাবে মিশিয়ে ঠান্ডা অবস্থায় পরিবেশন করুন।
== পরামর্শ ==
* যদি আপনি ওজন কমানোর চিন্তা করছেন, তাহলে সকালে খালি পেটে জিরা পানি খাওয়া বেশ কার্যকর।
* রোজকার পানীয় তালিকায় একে অন্তর্ভুক্ত করলে গ্যাস্ট্রিক, অ্যাসিডিটি, বদহজমের সমস্যা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আসে।
* ডায়াবেটিক রোগীদের জন্যও মধু না দিয়ে শুধু জিরা পানি খাওয়া উপযোগী।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:পানীয়]]
[[Category:স্বাস্থ্যকর পানীয়]]
[[Category:আয়ুর্বেদিক খাবার]]
[[Category:বাংলাদেশি পানীয়]]
gqaza19qvis8gymhq3fed9n9g29imnt
84737
84736
2025-06-18T00:14:28Z
Mehedi Abedin
7113
84737
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = পানীয়
| পরিবেশন = ৪–৫ জন
| তৈরির সময় = ১৫ মিনিট (সহজ)
| কষ্টসাধ্য = ১
| খাদ্য শক্তি = কম
| টীকা = জিরা পানি একটি প্রাচীন আয়ুর্বেদিক পানীয় যা হজমশক্তি বৃদ্ধি, পেটের সমস্যা দূরীকরণ এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''জিরা পানি'''</big></center>
জিরা পানি বাংলার ঘরে ঘরে বহু প্রাচীনকাল ধরে ব্যবহার হয়ে আসছে একটি প্রাকৃতিক হজমবর্ধক ও উপকারী পানীয় হিসেবে। বিশেষ করে গ্রীষ্মকালে শরীর ঠান্ডা রাখতে ও পেট পরিষ্কার রাখতে এটি দারুণ কার্যকর। নানা আয়ুর্বেদিক শাস্ত্রে জিরাকে ‘অগ্নিদীপক’ বা হজমশক্তি জাগানোর উপাদান হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। এটি শুধু স্বাদে নয়, উপকারেও ভরপুর। দৈনন্দিন জীবনের ভাজাপোড়া, তৈলাক্ত খাবারের ভারসাম্য রক্ষায় এই সাধারণ পানীয়ই হতে পারে আপনার সুস্থতার এক গুরুত্বপূর্ণ সহচর।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! নাম !! পরিমাণ
|-
| জিরা || ২ টেবিল চামচ
|-
| পানি || ৪ কাপ
|-
| লেবুর রস || ১ টেবিল চামচ (ঐচ্ছিক)
|-
| মধু || ১ চা চামচ (ঐচ্ছিক)
|-
| বিট লবণ || ১/২ চা চামচ (ঐচ্ছিক)
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# একটি শুকনো কড়াইতে জিরা হালকা করে ভাজুন যতক্ষণ না জিরা থেকে সুগন্ধ বের হয় এবং রঙ হালকা গাঢ় হয়।
# এরপর ভাজা জিরা ঠান্ডা হলে এক কাপ পানিতে ভিজিয়ে রাখুন অন্তত ১ ঘণ্টা বা সারা রাত।
# ভিজিয়ে রাখা জিরাসহ পানি একটি পাত্রে ঢেলে আরও ৩ কাপ পানি মেশান।
# চাইলে এই মিশ্রণে বিট লবণ, লেবুর রস এবং সামান্য মধু যোগ করতে পারেন স্বাদ ও পুষ্টি বৃদ্ধির জন্য।
<span style=color:red;><center>'''ভালোভাবে মিশিয়ে ঠান্ডা অবস্থায় পরিবেশন করুন।'''</center></span>
== পরামর্শ ==
* যদি আপনি ওজন কমানোর চিন্তা করছেন, তাহলে সকালে খালি পেটে জিরা পানি খাওয়া বেশ কার্যকর।
* রোজকার পানীয় তালিকায় একে অন্তর্ভুক্ত করলে গ্যাস্ট্রিক, অ্যাসিডিটি, বদহজমের সমস্যা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আসে।
* ডায়াবেটিক রোগীদের জন্যও মধু না দিয়ে শুধু জিরা পানি খাওয়া উপযোগী।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:পানীয়]]
[[Category:স্বাস্থ্যকর পানীয়]]
[[Category:আয়ুর্বেদিক খাবার]]
[[Category:বাংলাদেশি পানীয়]]
nkfd6motglizfiyom393hz06poxlzal
84738
84737
2025-06-18T00:14:49Z
Mehedi Abedin
7113
84738
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = পানীয়
| পরিবেশন = ৪–৫ জন
| তৈরির সময় = ১৫ মিনিট (সহজ)
| কষ্টসাধ্য = ১
| খাদ্য শক্তি = কম
| টীকা = প্রাচীন আয়ুর্বেদিক পানীয় যা হজমশক্তি বৃদ্ধি, পেটের সমস্যা দূরীকরণ এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''জিরা পানি'''</big></center>
জিরা পানি বাংলার ঘরে ঘরে বহু প্রাচীনকাল ধরে ব্যবহার হয়ে আসছে একটি প্রাকৃতিক হজমবর্ধক ও উপকারী পানীয় হিসেবে। বিশেষ করে গ্রীষ্মকালে শরীর ঠান্ডা রাখতে ও পেট পরিষ্কার রাখতে এটি দারুণ কার্যকর। নানা আয়ুর্বেদিক শাস্ত্রে জিরাকে ‘অগ্নিদীপক’ বা হজমশক্তি জাগানোর উপাদান হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। এটি শুধু স্বাদে নয়, উপকারেও ভরপুর। দৈনন্দিন জীবনের ভাজাপোড়া, তৈলাক্ত খাবারের ভারসাম্য রক্ষায় এই সাধারণ পানীয়ই হতে পারে আপনার সুস্থতার এক গুরুত্বপূর্ণ সহচর।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! নাম !! পরিমাণ
|-
| জিরা || ২ টেবিল চামচ
|-
| পানি || ৪ কাপ
|-
| লেবুর রস || ১ টেবিল চামচ (ঐচ্ছিক)
|-
| মধু || ১ চা চামচ (ঐচ্ছিক)
|-
| বিট লবণ || ১/২ চা চামচ (ঐচ্ছিক)
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# একটি শুকনো কড়াইতে জিরা হালকা করে ভাজুন যতক্ষণ না জিরা থেকে সুগন্ধ বের হয় এবং রঙ হালকা গাঢ় হয়।
# এরপর ভাজা জিরা ঠান্ডা হলে এক কাপ পানিতে ভিজিয়ে রাখুন অন্তত ১ ঘণ্টা বা সারা রাত।
# ভিজিয়ে রাখা জিরাসহ পানি একটি পাত্রে ঢেলে আরও ৩ কাপ পানি মেশান।
# চাইলে এই মিশ্রণে বিট লবণ, লেবুর রস এবং সামান্য মধু যোগ করতে পারেন স্বাদ ও পুষ্টি বৃদ্ধির জন্য।
<span style=color:red;><center>'''ভালোভাবে মিশিয়ে ঠান্ডা অবস্থায় পরিবেশন করুন।'''</center></span>
== পরামর্শ ==
* যদি আপনি ওজন কমানোর চিন্তা করছেন, তাহলে সকালে খালি পেটে জিরা পানি খাওয়া বেশ কার্যকর।
* রোজকার পানীয় তালিকায় একে অন্তর্ভুক্ত করলে গ্যাস্ট্রিক, অ্যাসিডিটি, বদহজমের সমস্যা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আসে।
* ডায়াবেটিক রোগীদের জন্যও মধু না দিয়ে শুধু জিরা পানি খাওয়া উপযোগী।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:পানীয়]]
[[Category:স্বাস্থ্যকর পানীয়]]
[[Category:আয়ুর্বেদিক খাবার]]
[[Category:বাংলাদেশি পানীয়]]
c127x3l4kwz9kqh21ikrgiv0l019be4
84739
84738
2025-06-18T00:15:00Z
Mehedi Abedin
7113
84739
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = পানীয়
| পরিবেশন = ৪–৫ জন
| তৈরির সময় = ১৫ মিনিট (সহজ)
| কষ্টসাধ্য = ১
| খাদ্য শক্তি = কম
| টীকা = প্রাচীন আয়ুর্বেদিক পানীয় যা হজমশক্তি বৃদ্ধি, পেটের সমস্যা দূরীকরণ এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''জিরা পানি'''</big></center>
জিরা পানি বাংলার ঘরে ঘরে বহু প্রাচীনকাল ধরে ব্যবহার হয়ে আসছে একটি প্রাকৃতিক হজমবর্ধক ও উপকারী পানীয় হিসেবে। বিশেষ করে গ্রীষ্মকালে শরীর ঠান্ডা রাখতে ও পেট পরিষ্কার রাখতে এটি দারুণ কার্যকর। নানা আয়ুর্বেদিক শাস্ত্রে জিরাকে ‘অগ্নিদীপক’ বা হজমশক্তি জাগানোর উপাদান হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। এটি শুধু স্বাদে নয়, উপকারেও ভরপুর।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! নাম !! পরিমাণ
|-
| জিরা || ২ টেবিল চামচ
|-
| পানি || ৪ কাপ
|-
| লেবুর রস || ১ টেবিল চামচ (ঐচ্ছিক)
|-
| মধু || ১ চা চামচ (ঐচ্ছিক)
|-
| বিট লবণ || ১/২ চা চামচ (ঐচ্ছিক)
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# একটি শুকনো কড়াইতে জিরা হালকা করে ভাজুন যতক্ষণ না জিরা থেকে সুগন্ধ বের হয় এবং রঙ হালকা গাঢ় হয়।
# এরপর ভাজা জিরা ঠান্ডা হলে এক কাপ পানিতে ভিজিয়ে রাখুন অন্তত ১ ঘণ্টা বা সারা রাত।
# ভিজিয়ে রাখা জিরাসহ পানি একটি পাত্রে ঢেলে আরও ৩ কাপ পানি মেশান।
# চাইলে এই মিশ্রণে বিট লবণ, লেবুর রস এবং সামান্য মধু যোগ করতে পারেন স্বাদ ও পুষ্টি বৃদ্ধির জন্য।
<span style=color:red;><center>'''ভালোভাবে মিশিয়ে ঠান্ডা অবস্থায় পরিবেশন করুন।'''</center></span>
== পরামর্শ ==
* যদি আপনি ওজন কমানোর চিন্তা করছেন, তাহলে সকালে খালি পেটে জিরা পানি খাওয়া বেশ কার্যকর।
* রোজকার পানীয় তালিকায় একে অন্তর্ভুক্ত করলে গ্যাস্ট্রিক, অ্যাসিডিটি, বদহজমের সমস্যা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আসে।
* ডায়াবেটিক রোগীদের জন্যও মধু না দিয়ে শুধু জিরা পানি খাওয়া উপযোগী।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:পানীয়]]
[[Category:স্বাস্থ্যকর পানীয়]]
[[Category:আয়ুর্বেদিক খাবার]]
[[Category:বাংলাদেশি পানীয়]]
o9vya8os7yf0d34tnbl1qverkw8povf
84740
84739
2025-06-18T00:15:58Z
Mehedi Abedin
7113
84740
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = পানীয়
| পরিবেশন = ৪–৫ জন
| তৈরির সময় = ১৫ মিনিট (সহজ)
| কষ্টসাধ্য = ১
| খাদ্য শক্তি = কম
| টীকা = প্রাচীন আয়ুর্বেদিক পানীয় যা হজমশক্তি বৃদ্ধি, পেটের সমস্যা দূরীকরণ এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''জিরা পানি'''</big></center>
জিরা পানি বাংলার ঘরে ঘরে বহু প্রাচীনকাল ধরে ব্যবহার হয়ে আসছে একটি প্রাকৃতিক হজমবর্ধক ও উপকারী পানীয় হিসেবে। বিশেষ করে গ্রীষ্মকালে শরীর ঠান্ডা রাখতে ও পেট পরিষ্কার রাখতে এটি দারুণ কার্যকর। নানা আয়ুর্বেদিক শাস্ত্রে জিরাকে ‘অগ্নিদীপক’ বা হজমশক্তি জাগানোর উপাদান হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। এটি শুধু স্বাদে নয়, উপকারেও ভরপুর।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! নাম !! পরিমাণ
|-
| জিরা || ২ টেবিল চামচ
|-
| পানি || ৪ কাপ
|-
| লেবুর রস || ১ টেবিল চামচ (ঐচ্ছিক)
|-
| মধু || ১ চা চামচ (ঐচ্ছিক)
|-
| বিট লবণ || ১/২ চা চামচ (ঐচ্ছিক)
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# একটি শুকনো কড়াইতে জিরা হালকা করে ভাজুন যতক্ষণ না জিরা থেকে সুগন্ধ বের হয় এবং রঙ হালকা গাঢ় হয়।
# এরপর ভাজা জিরা ঠান্ডা হলে এক কাপ পানিতে ভিজিয়ে রাখুন অন্তত ১ ঘণ্টা বা সারা রাত।
# ভিজিয়ে রাখা জিরাসহ পানি একটি পাত্রে ঢেলে আরও ৩ কাপ পানি মেশান।
# চাইলে এই মিশ্রণে বিট লবণ, লেবুর রস এবং সামান্য মধু যোগ করতে পারেন স্বাদ ও পুষ্টি বৃদ্ধির জন্য।
<span style=color:red;><center>'''ভালোভাবে মিশিয়ে ঠান্ডা অবস্থায় পরিবেশন করুন।'''</center></span>
== পরামর্শ ==
* ডায়াবেটিক রোগীদের জন্যও মধু না দিয়ে শুধু জিরা পানি খাওয়া উপযোগী।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:পানীয়]]
[[Category:স্বাস্থ্যকর পানীয়]]
[[Category:আয়ুর্বেদিক খাবার]]
[[Category:বাংলাদেশি পানীয়]]
hdnl0jy1nx2dvq1eissbyedc3m34ewj
84741
84740
2025-06-18T00:16:08Z
Mehedi Abedin
7113
84741
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = পানীয়
| পরিবেশন = ৪–৫ জন
| তৈরির সময় = ১৫ মিনিট (সহজ)
| কষ্টসাধ্য = ১
| খাদ্য শক্তি = কম
| টীকা = প্রাচীন আয়ুর্বেদিক পানীয় যা হজমশক্তি বৃদ্ধি, পেটের সমস্যা দূরীকরণ এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''জিরা পানি'''</big></center>
জিরা পানি বাংলার ঘরে ঘরে বহু প্রাচীনকাল ধরে ব্যবহার হয়ে আসছে একটি প্রাকৃতিক হজমবর্ধক ও উপকারী পানীয় হিসেবে। বিশেষ করে গ্রীষ্মকালে শরীর ঠান্ডা রাখতে ও পেট পরিষ্কার রাখতে এটি দারুণ কার্যকর। নানা আয়ুর্বেদিক শাস্ত্রে জিরাকে ‘অগ্নিদীপক’ বা হজমশক্তি জাগানোর উপাদান হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। এটি শুধু স্বাদে নয়, উপকারেও ভরপুর।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! নাম !! পরিমাণ
|-
| জিরা || ২ টেবিল চামচ
|-
| পানি || ৪ কাপ
|-
| লেবুর রস || ১ টেবিল চামচ (ঐচ্ছিক)
|-
| মধু || ১ চা চামচ (ঐচ্ছিক)
|-
| বিট লবণ || ১/২ চা চামচ (ঐচ্ছিক)
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# একটি শুকনো কড়াইতে জিরা হালকা করে ভাজুন যতক্ষণ না জিরা থেকে সুগন্ধ বের হয় এবং রঙ হালকা গাঢ় হয়।
# এরপর ভাজা জিরা ঠান্ডা হলে এক কাপ পানিতে ভিজিয়ে রাখুন অন্তত ১ ঘণ্টা বা সারা রাত।
# ভিজিয়ে রাখা জিরাসহ পানি একটি পাত্রে ঢেলে আরও ৩ কাপ পানি মেশান।
# চাইলে এই মিশ্রণে বিট লবণ, লেবুর রস এবং সামান্য মধু যোগ করতে পারেন স্বাদ ও পুষ্টি বৃদ্ধির জন্য।
<span style=color:red;><center>'''ভালোভাবে মিশিয়ে ঠান্ডা অবস্থায় পরিবেশন করুন।'''</center></span>
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:পানীয়]]
[[Category:স্বাস্থ্যকর পানীয়]]
[[Category:আয়ুর্বেদিক খাবার]]
[[Category:বাংলাদেশি পানীয়]]
f829sh4gvfa4drqbz699y6xqdfet9k9
84742
84741
2025-06-18T00:16:17Z
Mehedi Abedin
7113
84742
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = পানীয়
| পরিবেশন = ৪–৫ জন
| তৈরির সময় = ১৫ মিনিট (সহজ)
| কষ্টসাধ্য = ১
| খাদ্য শক্তি = কম
| টীকা = প্রাচীন আয়ুর্বেদিক পানীয় যা হজমশক্তি বৃদ্ধি, পেটের সমস্যা দূরীকরণ এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''জিরা পানি'''</big></center>
জিরা পানি বাংলার ঘরে ঘরে বহু প্রাচীনকাল ধরে ব্যবহার হয়ে আসছে একটি প্রাকৃতিক হজমবর্ধক ও উপকারী পানীয় হিসেবে। বিশেষ করে গ্রীষ্মকালে শরীর ঠান্ডা রাখতে ও পেট পরিষ্কার রাখতে এটি দারুণ কার্যকর। নানা আয়ুর্বেদিক শাস্ত্রে জিরাকে ‘অগ্নিদীপক’ বা হজমশক্তি জাগানোর উপাদান হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। এটি শুধু স্বাদে নয়, উপকারেও ভরপুর।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! নাম !! পরিমাণ
|-
| জিরা || ২ টেবিল চামচ
|-
| পানি || ৪ কাপ
|-
| লেবুর রস || ১ টেবিল চামচ (ঐচ্ছিক)
|-
| মধু || ১ চা চামচ (ঐচ্ছিক)
|-
| বিট লবণ || ১/২ চা চামচ (ঐচ্ছিক)
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# একটি শুকনো কড়াইতে জিরা হালকা করে ভাজুন যতক্ষণ না জিরা থেকে সুগন্ধ বের হয় এবং রঙ হালকা গাঢ় হয়।
# এরপর ভাজা জিরা ঠান্ডা হলে এক কাপ পানিতে ভিজিয়ে রাখুন অন্তত ১ ঘণ্টা বা সারা রাত।
# ভিজিয়ে রাখা জিরাসহ পানি একটি পাত্রে ঢেলে আরও ৩ কাপ পানি মেশান।
# চাইলে এই মিশ্রণে বিট লবণ, লেবুর রস এবং সামান্য মধু যোগ করতে পারেন স্বাদ ও পুষ্টি বৃদ্ধির জন্য।
<span style=color:red;><center>'''ভালোভাবে মিশিয়ে ঠান্ডা অবস্থায় পরিবেশন করুন।'''</center></span>
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:পানীয়]]
[[Category:স্বাস্থ্যকর পানীয়]]
[[Category:আয়ুর্বেদিক খাবার]]
[[Category:বাংলাদেশী পানীয়]]
ist6fbufwdnmnmw33rg5owuei1n44hc
রন্ধনপ্রণালী:চিকেন ড্রামস্টিক
104
25683
84743
80063
2025-06-18T00:17:12Z
Mehedi Abedin
7113
84743
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = জলখাবার
| পরিবেশন = ৪ জন
| তৈরির সময় = ১ ঘণ্টা ২০ মিনিট (মাখানোসহ)
| কষ্টসাধ্য = ২
| খাদ্য শক্তি = মাঝারি
| টীকা = চিকেন ড্রামস্টিক একটি জনপ্রিয় মাংস পদ যা বাহ্যিকভাবে মচমচে ও ভেতরে রসাল হওয়ায় সব বয়সের মানুষের কাছেই প্রিয়।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''চিকেন ড্রামস্টিক'''</big></center>
চিকেন ড্রামস্টিক এমন এক পদ যা বিশেষত শিশুদের মধ্যে খুবই জনপ্রিয়, তবে বড়রাও কম পছন্দ করেন না। এটি মূলত মুরগির পায়ের বিশেষ অংশ, যা নির্দিষ্টভাবে মশলা দিয়ে মেখে, ভাপে বা তেলে রান্না করা হয়। বাইরের অংশটি যেন মচমচে থাকে এবং ভেতরে থাকে রসাল ও মসলা মাখানো—এই নিখুঁত মেলবন্ধনই চিকেন ড্রামস্টিকের সাফল্যের চাবিকাঠি। অতিথি আপ্যায়ন হোক কিংবা বিকেলের জলখাবার—এই পদ সহজেই মন জয় করে।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! নাম !! পরিমাণ
|-
| মুরগির রান || ৮টি
|-
| টক দই || ১/২ কাপ
|-
| আদা বাটা || ১ টেবিল চামচ
|-
| রসুন বাটা || ১ টেবিল চামচ
|-
| লেবুর রস || ২ টেবিল চামচ
|-
| লাল মরিচ গুঁড়ো || ১ চা চামচ
|-
| গোলমরিচ গুঁড়ো || ১/২ চা চামচ
|-
| গরম মসলা গুঁড়ো || ১/২ চা চামচ
|-
| ধনে গুঁড়ো || ১ চা চামচ
|-
| বিট লবণ বা স্বাদমতো লবণ || পরিমাণমতো
|-
| বেসন বা চালের গুঁড়া || ২ টেবিল চামচ (মচমচে করার জন্য)
|-
| তেল || ভাজার জন্য
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# প্রথমে মুরগির রান ভালোভাবে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। চাইলে হালকা করে কেটে নিতে পারেন যাতে মশলা ভেতর পর্যন্ত প্রবেশ করে।
# একটি বড় পাত্রে টক দই, আদা-রসুন বাটা, লেবুর রস, সব মসলা ও লবণ একত্রে মিশিয়ে নিন।
# এতে রানগুলো মিশিয়ে ভালোভাবে মেখে নিন। এরপর ১ ঘণ্টা ঢেকে রেখে দিন যাতে মশলা ভালোভাবে মাখে (ইচ্ছা হলে রাতে রেখে সকালে রান্না করতে পারেন)।
# মাখানো শেষে রানগুলো বেসন বা চালের গুঁড়ায় হালকা করে গড়িয়ে নিন যেন বাইরের অংশটা মচমচে হয়।
# একটি গভীর কড়াইতে তেল গরম করুন এবং রানগুলো হালকা আঁচে সোনালি বাদামি হওয়া পর্যন্ত ভাজুন। খুব বেশি তাপ দিলে বাইরের অংশ পুড়ে যাবে অথচ ভেতর কাঁচা থেকে যাবে, তাই ধৈর্য ধরে মাঝারি আঁচেই রান্না করুন।
# চাইলে তন্দুর বা ওভেনেও ভাজতে পারেন ১৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ২৫–৩০ মিনিট ধরে।
== পরিবেশন ==
চিকেন ড্রামস্টিক গরম গরম পরিবেশন করুন ধনেপাতা, পেঁয়াজ ও লেবুর টুকরো দিয়ে। সঙ্গে রাখতে পারেন মায়োনেজ বা টক দইয়ের একটি সহজ ডিপ। এটি বিকেলের নাশতা বা উৎসবের পদ হিসেবেও খুবই উপযুক্ত।
== পরামর্শ ==
* চাইলে মখানোতে সামান্য মধু বা টমেটো সস যোগ করতে পারেন একটু মিষ্টি ঝাল স্বাদের জন্য।
* ওভেনে ভাজলে মাঝে মাঝে ব্রাশ করে তেল লাগাতে পারেন, এতে ড্রামস্টিক শুকিয়ে যাবে না।
== স্বাস্থ্য উপকারিতা ও ঝুঁকি ==
চিকেন ড্রামস্টিক প্রোটিনসমৃদ্ধ একটি পদ যা পেশি গঠনে সহায়তা করে। মেরিনেশনে থাকা দই হজমে সহায়তা করে এবং মসলা রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। তবে তেলে ভাজা হলে এতে চর্বির পরিমাণ বেড়ে যায়, তাই মাঝেমধ্যে খাওয়াই ভালো। বেক বা এয়ার ফ্রাই করে নিলে স্বাস্থ্যকর বিকল্প হতে পারে।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:মাংস ও পোলট্রি]]
[[Category:নাশতা]]
[[Category:অতিথি আপ্যায়ন পদ]]
[[Category:মুরগির পদ]]
i3mu6rs5yvyhx79w42ncyujpf3fta7n
84744
84743
2025-06-18T00:17:21Z
Mehedi Abedin
7113
84744
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = জলখাবার
| পরিবেশন = ৪ জন
| তৈরির সময় = ১ ঘণ্টা ২০ মিনিট (মাখানোসহ)
| কষ্টসাধ্য = ২
| খাদ্য শক্তি = মাঝারি
| টীকা = চিকেন ড্রামস্টিক একটি জনপ্রিয় মাংস পদ যা বাহ্যিকভাবে মচমচে ও ভেতরে রসাল হওয়ায় সব বয়সের মানুষের কাছেই প্রিয়।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''চিকেন ড্রামস্টিক'''</big></center>
চিকেন ড্রামস্টিক এমন এক পদ যা বিশেষত শিশুদের মধ্যে খুবই জনপ্রিয়, তবে বড়রাও কম পছন্দ করেন না। এটি মূলত মুরগির পায়ের বিশেষ অংশ, যা নির্দিষ্টভাবে মশলা দিয়ে মেখে, ভাপে বা তেলে রান্না করা হয়। বাইরের অংশটি যেন মচমচে থাকে এবং ভেতরে থাকে রসাল ও মসলা মাখানো—এই নিখুঁত মেলবন্ধনই চিকেন ড্রামস্টিকের সাফল্যের চাবিকাঠি। অতিথি আপ্যায়ন হোক কিংবা বিকেলের জলখাবার—এই পদ সহজেই মন জয় করে।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! নাম !! পরিমাণ
|-
| মুরগির রান || ৮টি
|-
| টক দই || ১/২ কাপ
|-
| আদা বাটা || ১ টেবিল চামচ
|-
| রসুন বাটা || ১ টেবিল চামচ
|-
| লেবুর রস || ২ টেবিল চামচ
|-
| লাল মরিচ গুঁড়ো || ১ চা চামচ
|-
| গোলমরিচ গুঁড়ো || ১/২ চা চামচ
|-
| গরম মসলা গুঁড়ো || ১/২ চা চামচ
|-
| ধনে গুঁড়ো || ১ চা চামচ
|-
| বিট লবণ বা স্বাদমতো লবণ || পরিমাণমতো
|-
| বেসন বা চালের গুঁড়া || ২ টেবিল চামচ (মচমচে করার জন্য)
|-
| তেল || ভাজার জন্য
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# প্রথমে মুরগির রান ভালোভাবে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। চাইলে হালকা করে কেটে নিতে পারেন যাতে মশলা ভেতর পর্যন্ত প্রবেশ করে।
# একটি বড় পাত্রে টক দই, আদা-রসুন বাটা, লেবুর রস, সব মসলা ও লবণ একত্রে মিশিয়ে নিন।
# এতে রানগুলো মিশিয়ে ভালোভাবে মেখে নিন। এরপর ১ ঘণ্টা ঢেকে রেখে দিন যাতে মশলা ভালোভাবে মাখে (ইচ্ছা হলে রাতে রেখে সকালে রান্না করতে পারেন)।
# মাখানো শেষে রানগুলো বেসন বা চালের গুঁড়ায় হালকা করে গড়িয়ে নিন যেন বাইরের অংশটা মচমচে হয়।
# একটি গভীর কড়াইতে তেল গরম করুন এবং রানগুলো হালকা আঁচে সোনালি বাদামি হওয়া পর্যন্ত ভাজুন। খুব বেশি তাপ দিলে বাইরের অংশ পুড়ে যাবে অথচ ভেতর কাঁচা থেকে যাবে, তাই ধৈর্য ধরে মাঝারি আঁচেই রান্না করুন।
# চাইলে তন্দুর বা ওভেনেও ভাজতে পারেন ১৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ২৫–৩০ মিনিট ধরে।
== পরিবেশন ==
চিকেন ড্রামস্টিক গরম গরম পরিবেশন করুন ধনেপাতা, পেঁয়াজ ও লেবুর টুকরো দিয়ে। সঙ্গে রাখতে পারেন মায়োনেজ বা টক দইয়ের একটি সহজ ডিপ। এটি বিকেলের নাশতা বা উৎসবের পদ হিসেবেও খুবই উপযুক্ত।
== পরামর্শ ==
* চাইলে মখানোতে সামান্য মধু বা টমেটো সস যোগ করতে পারেন একটু মিষ্টি ঝাল স্বাদের জন্য।
* ওভেনে ভাজলে মাঝে মাঝে ব্রাশ করে তেল লাগাতে পারেন, এতে ড্রামস্টিক শুকিয়ে যাবে না।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:মাংস ও পোলট্রি]]
[[Category:নাশতা]]
[[Category:অতিথি আপ্যায়ন পদ]]
[[Category:মুরগির পদ]]
bsgtdignh5qz276zq9sqeyifqlpx5e0
84745
84744
2025-06-18T00:18:06Z
Mehedi Abedin
7113
84745
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = জলখাবার
| পরিবেশন = ৪ জন
| তৈরির সময় = ১ ঘণ্টা ২০ মিনিট (মাখানোসহ)
| কষ্টসাধ্য = ২
| খাদ্য শক্তি = মাঝারি
| টীকা = চিকেন ড্রামস্টিক একটি জনপ্রিয় মাংস পদ যা বাহ্যিকভাবে মচমচে ও ভেতরে রসাল হওয়ায় সব বয়সের মানুষের কাছেই প্রিয়।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''চিকেন ড্রামস্টিক'''</big></center>
চিকেন ড্রামস্টিক এমন এক পদ যা বিশেষত শিশুদের মধ্যে খুবই জনপ্রিয়, তবে বড়রাও কম পছন্দ করেন না। এটি মূলত মুরগির পায়ের বিশেষ অংশ, যা নির্দিষ্টভাবে মশলা দিয়ে মেখে, ভাপে বা তেলে রান্না করা হয়। বাইরের অংশটি যেন মচমচে থাকে এবং ভেতরে থাকে রসাল ও মসলা মাখানো—এই নিখুঁত মেলবন্ধনই চিকেন ড্রামস্টিকের সাফল্যের চাবিকাঠি। অতিথি আপ্যায়ন হোক কিংবা বিকেলের জলখাবার—এই পদ সহজেই মন জয় করে।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! নাম !! পরিমাণ
|-
| মুরগির রান || ৮টি
|-
| টক দই || ১/২ কাপ
|-
| আদা বাটা || ১ টেবিল চামচ
|-
| রসুন বাটা || ১ টেবিল চামচ
|-
| লেবুর রস || ২ টেবিল চামচ
|-
| লাল মরিচ গুঁড়ো || ১ চা চামচ
|-
| গোলমরিচ গুঁড়ো || ১/২ চা চামচ
|-
| গরম মসলা গুঁড়ো || ১/২ চা চামচ
|-
| ধনে গুঁড়ো || ১ চা চামচ
|-
| বিট লবণ বা স্বাদমতো লবণ || পরিমাণমতো
|-
| বেসন বা চালের গুঁড়া || ২ টেবিল চামচ (মচমচে করার জন্য)
|-
| তেল || ভাজার জন্য
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# প্রথমে মুরগির রান ভালোভাবে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। চাইলে হালকা করে কেটে নিতে পারেন যাতে মশলা ভেতর পর্যন্ত প্রবেশ করে।
# একটি বড় পাত্রে টক দই, আদা-রসুন বাটা, লেবুর রস, সব মসলা ও লবণ একত্রে মিশিয়ে নিন।
# এতে রানগুলো মিশিয়ে ভালোভাবে মেখে নিন। এরপর ১ ঘণ্টা ঢেকে রেখে দিন যাতে মশলা ভালোভাবে মাখে (ইচ্ছা হলে রাতে রেখে সকালে রান্না করতে পারেন)।
# মাখানো শেষে রানগুলো বেসন বা চালের গুঁড়ায় হালকা করে গড়িয়ে নিন যেন বাইরের অংশটা মচমচে হয়।
# একটি গভীর কড়াইতে তেল গরম করুন এবং রানগুলো হালকা আঁচে সোনালি বাদামি হওয়া পর্যন্ত ভাজুন। খুব বেশি তাপ দিলে বাইরের অংশ পুড়ে যাবে অথচ ভেতর কাঁচা থেকে যাবে, তাই ধৈর্য ধরে মাঝারি আঁচেই রান্না করুন।
# চাইলে তন্দুর বা ওভেনেও ভাজতে পারেন ১৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ২৫–৩০ মিনিট ধরে।
== পরিবেশন ==
চিকেন ড্রামস্টিক গরম গরম পরিবেশন করুন ধনেপাতা, পেঁয়াজ ও লেবুর টুকরো দিয়ে। সঙ্গে রাখতে পারেন মায়োনেজ বা টক দইয়ের একটি সহজ ডিপ। এটি বিকেলের নাশতা বা উৎসবের পদ হিসেবেও খুবই উপযুক্ত।
== পরামর্শ ==
* চাইলে মাখাতে সামান্য মধু বা টমেটো সস যোগ করতে পারেন একটু মিষ্টি ঝাল স্বাদের জন্য।
* ওভেনে ভাজলে মাঝে মাঝে ব্রাশ করে তেল লাগাতে পারেন, এতে ড্রামস্টিক শুকিয়ে যাবে না।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:মাংস ও পোলট্রি]]
[[Category:নাশতা]]
[[Category:অতিথি আপ্যায়ন পদ]]
[[Category:মুরগির পদ]]
bg5gfnvmvxvndq1x4z28gyf1heda5kp
84746
84745
2025-06-18T00:18:26Z
Mehedi Abedin
7113
84746
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = জলখাবার
| পরিবেশন = ৪ জন
| তৈরির সময় = ১ ঘণ্টা ২০ মিনিট (মাখানোসহ)
| কষ্টসাধ্য = ২
| খাদ্য শক্তি = মাঝারি
| টীকা = চিকেন ড্রামস্টিক একটি জনপ্রিয় মাংস পদ যা বাহ্যিকভাবে মচমচে ও ভেতরে রসাল হওয়ায় সব বয়সের মানুষের কাছেই প্রিয়।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''চিকেন ড্রামস্টিক'''</big></center>
চিকেন ড্রামস্টিক এমন এক পদ যা বিশেষত শিশুদের মধ্যে খুবই জনপ্রিয়, তবে বড়রাও কম পছন্দ করেন না। এটি মূলত মুরগির পায়ের বিশেষ অংশ, যা নির্দিষ্টভাবে মশলা দিয়ে মেখে, ভাপে বা তেলে রান্না করা হয়। বাইরের অংশটি যেন মচমচে থাকে এবং ভেতরে থাকে রসাল ও মসলা মাখানো—এই নিখুঁত মেলবন্ধনই চিকেন ড্রামস্টিকের সাফল্যের চাবিকাঠি। অতিথি আপ্যায়ন হোক কিংবা বিকেলের জলখাবার—এই পদ সহজেই মন জয় করে।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! নাম !! পরিমাণ
|-
| মুরগির রান || ৮টি
|-
| টক দই || ১/২ কাপ
|-
| আদা বাটা || ১ টেবিল চামচ
|-
| রসুন বাটা || ১ টেবিল চামচ
|-
| লেবুর রস || ২ টেবিল চামচ
|-
| লাল মরিচ গুঁড়ো || ১ চা চামচ
|-
| গোলমরিচ গুঁড়ো || ১/২ চা চামচ
|-
| গরম মসলা গুঁড়ো || ১/২ চা চামচ
|-
| ধনে গুঁড়ো || ১ চা চামচ
|-
| বিট লবণ বা স্বাদমতো লবণ || পরিমাণমতো
|-
| বেসন বা চালের গুঁড়া || ২ টেবিল চামচ (মচমচে করার জন্য)
|-
| তেল || ভাজার জন্য
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# প্রথমে মুরগির রান ভালোভাবে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। চাইলে হালকা করে কেটে নিতে পারেন যাতে মশলা ভেতর পর্যন্ত প্রবেশ করে।
# একটি বড় পাত্রে টক দই, আদা-রসুন বাটা, লেবুর রস, সব মসলা ও লবণ একত্রে মিশিয়ে নিন।
# এতে রানগুলো মিশিয়ে ভালোভাবে মেখে নিন। এরপর ১ ঘণ্টা ঢেকে রেখে দিন যাতে মশলা ভালোভাবে মাখে (ইচ্ছা হলে রাতে রেখে সকালে রান্না করতে পারেন)।
# মাখানো শেষে রানগুলো বেসন বা চালের গুঁড়ায় হালকা করে গড়িয়ে নিন যেন বাইরের অংশটা মচমচে হয়।
# একটি গভীর কড়াইতে তেল গরম করুন এবং রানগুলো হালকা আঁচে সোনালি বাদামি হওয়া পর্যন্ত ভাজুন। খুব বেশি তাপ দিলে বাইরের অংশ পুড়ে যাবে অথচ ভেতর কাঁচা থেকে যাবে, তাই ধৈর্য ধরে মাঝারি আঁচেই রান্না করুন।
# চাইলে তন্দুর বা ওভেনেও ভাজতে পারেন ১৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ২৫–৩০ মিনিট ধরে।
<span style=color:red;><center>'''গরম গরম পরিবেশন করুন ধনেপাতা, পেঁয়াজ ও লেবুর টুকরো দিয়ে।'''</center></span>
== পরামর্শ ==
* চাইলে মাখাতে সামান্য মধু বা টমেটো সস যোগ করতে পারেন একটু মিষ্টি ঝাল স্বাদের জন্য।
* ওভেনে ভাজলে মাঝে মাঝে ব্রাশ করে তেল লাগাতে পারেন, এতে ড্রামস্টিক শুকিয়ে যাবে না।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:মাংস ও পোলট্রি]]
[[Category:নাশতা]]
[[Category:অতিথি আপ্যায়ন পদ]]
[[Category:মুরগির পদ]]
calb0112thsmtd8180c4vmt2i3hs076
84747
84746
2025-06-18T00:19:00Z
Mehedi Abedin
7113
84747
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = জলখাবার
| পরিবেশন = ৪ জন
| তৈরির সময় = ১ ঘণ্টা ২০ মিনিট (মাখানোসহ)
| কষ্টসাধ্য = ২
| খাদ্য শক্তি = মাঝারি
| টীকা = জনপ্রিয় মাংসের পদ যা বাহ্যিকভাবে মচমচে ও ভেতরে রসাল হওয়ায় সব বয়সের মানুষের কাছেই প্রিয়।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''চিকেন ড্রামস্টিক'''</big></center>
চিকেন ড্রামস্টিক এমন এক পদ যা বিশেষত শিশুদের মধ্যে খুবই জনপ্রিয়, তবে বড়রাও কম পছন্দ করেন না। এটি মূলত মুরগির পায়ের বিশেষ অংশ, যা নির্দিষ্টভাবে মশলা দিয়ে মেখে, ভাপে বা তেলে রান্না করা হয়। বাইরের অংশটি যেন মচমচে থাকে এবং ভেতরে থাকে রসাল ও মসলা মাখানো—এই নিখুঁত মেলবন্ধনই চিকেন ড্রামস্টিকের সাফল্যের চাবিকাঠি। অতিথি আপ্যায়ন হোক কিংবা বিকেলের জলখাবার—এই পদ সহজেই মন জয় করে।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! নাম !! পরিমাণ
|-
| মুরগির রান || ৮টি
|-
| টক দই || ১/২ কাপ
|-
| আদা বাটা || ১ টেবিল চামচ
|-
| রসুন বাটা || ১ টেবিল চামচ
|-
| লেবুর রস || ২ টেবিল চামচ
|-
| লাল মরিচ গুঁড়ো || ১ চা চামচ
|-
| গোলমরিচ গুঁড়ো || ১/২ চা চামচ
|-
| গরম মসলা গুঁড়ো || ১/২ চা চামচ
|-
| ধনে গুঁড়ো || ১ চা চামচ
|-
| বিট লবণ বা স্বাদমতো লবণ || পরিমাণমতো
|-
| বেসন বা চালের গুঁড়া || ২ টেবিল চামচ (মচমচে করার জন্য)
|-
| তেল || ভাজার জন্য
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# প্রথমে মুরগির রান ভালোভাবে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। চাইলে হালকা করে কেটে নিতে পারেন যাতে মশলা ভেতর পর্যন্ত প্রবেশ করে।
# একটি বড় পাত্রে টক দই, আদা-রসুন বাটা, লেবুর রস, সব মসলা ও লবণ একত্রে মিশিয়ে নিন।
# এতে রানগুলো মিশিয়ে ভালোভাবে মেখে নিন। এরপর ১ ঘণ্টা ঢেকে রেখে দিন যাতে মশলা ভালোভাবে মাখে (ইচ্ছা হলে রাতে রেখে সকালে রান্না করতে পারেন)।
# মাখানো শেষে রানগুলো বেসন বা চালের গুঁড়ায় হালকা করে গড়িয়ে নিন যেন বাইরের অংশটা মচমচে হয়।
# একটি গভীর কড়াইতে তেল গরম করুন এবং রানগুলো হালকা আঁচে সোনালি বাদামি হওয়া পর্যন্ত ভাজুন। খুব বেশি তাপ দিলে বাইরের অংশ পুড়ে যাবে অথচ ভেতর কাঁচা থেকে যাবে, তাই ধৈর্য ধরে মাঝারি আঁচেই রান্না করুন।
# চাইলে তন্দুর বা ওভেনেও ভাজতে পারেন ১৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ২৫–৩০ মিনিট ধরে।
<span style=color:red;><center>'''গরম গরম পরিবেশন করুন ধনেপাতা, পেঁয়াজ ও লেবুর টুকরো দিয়ে।'''</center></span>
== পরামর্শ ==
* চাইলে মাখাতে সামান্য মধু বা টমেটো সস যোগ করতে পারেন একটু মিষ্টি ঝাল স্বাদের জন্য।
* ওভেনে ভাজলে মাঝে মাঝে ব্রাশ করে তেল লাগাতে পারেন, এতে ড্রামস্টিক শুকিয়ে যাবে না।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:মাংস ও পোলট্রি]]
[[Category:নাশতা]]
[[Category:অতিথি আপ্যায়ন পদ]]
[[Category:মুরগির পদ]]
5sypg2kugc376wejhjn8um5r8eul04e
প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/তড়িৎ-যান্ত্রিক সাদৃশ্য
0
25797
84770
84642
2025-06-18T05:04:36Z
RDasgupta2020
8748
/* একটি দোলক যান্ত্রিক ব্যাবস্থার মৌলিক উপাদানসমূহ */
84770
wikitext
text/x-wiki
==বেশিরভাগ সার্কিট অ্যানালগ কেন==
শব্দবিজ্ঞান সম্পর্কিত বেশিরভাগ যন্ত্রপাতি সাধারণত যান্ত্রিক ও বৈদ্যুতিক উপাদানের সমন্বয়ে গঠিত হয়। যেমন, একটি লাউডস্পিকার যা বিদ্যুৎ সরবরাহের মাধ্যমে চলে। প্রকৌশলে এমন যন্ত্রের কার্যপ্রনালী ব্যাখা করার সুবিধার জন্য আমরা সেটিকে একটি একক বর্তনী বা একক সার্কিট হিসাবে ধরে নিয়ে বিশ্লেষণ করি। এই পদ্ধতিকে প্রকৌশল অধ্যয়নে বলা হয় বর্তনী সাদৃশ্যতা বা ''সার্কিট অ্যানালজি''। একইভাবে, যখন কোন যন্ত্রে শব্দ ও বিদ্যুৎ -এই দুই শক্তির প্রয়োগ থাকে (যেমন লাউডস্পিকার বা মাইক্রোফোনে), তখন তড়িৎ-যান্ত্রিক সাদৃশ্যর সাহায্যে আমরা সেগুলো বিশ্লেষণ করতে পারি।
==তড়িৎ-যান্ত্রিক সাদৃশ্য কিভাবে কাজ করে==
একটি তড়িৎ বর্তনী(ইলেকট্রিকাল সার্কিট) ও তার কার্যকারিতা বর্ননা করা হয় [[w:বিভব|বিভব]] বা ''পটেনশিয়াল'' এবং [[w:ফ্লাক্স|ফ্লাক্স]] (বিদ্যুৎ) -এর মাধ্যমে। একটি ''মেকানিকাল সিস্টেম'' বা ''যান্ত্রিক ব্যাবস্থার'' বর্তনী সাদৃশ্য বা ''সার্কিট অ্যানালগ'' নির্মান হেতু প্রথমে আমাদের সেই যান্ত্রিক সিস্টেমের ''ফ্লাক্স'' এবং ''বিভব'' -এই দুটি রাশিকে সংজ্ঞায়িত করি। এই দুই রাশির বিশ্লেষনের জন্য দুটি ভিন্নধর্মী অ্যানালগ সিস্টেম ব্যবস্থা বর্তমান যাদের মধ্যে একটি হল ''ইম্পিডেন্স অ্যানালগ''। এটি এমন একটি ব্যাবস্থা যেখানে কোনো একটি উপাদানের উপর কার্যরত বলকে বিভব এবং উপাদানটির গতিবেগ বা ''ভেলোসিটি'' -কে ফ্লাক্স হিসেবে বিবেচনা করা হয়। অপরটিকে বলা হয় ''মোবিলিটি অ্যানলগ'' যেখানে কোন উপাদানের গতিবেগকে বিভব এবং তার উপর কার্যরত বলকে ফ্লাক্স হিসাবে বিবেচনা করা হয়। নিচে এই দুই অ্যানালগ ব্যাবস্থার তুলনা করে দেখানো হল;
{| class="wikitable"
!
! যান্ত্রিক
! তড়িৎ সাদৃশ্যতা
|-
| '''ইম্পিডেন্স অ্যানালগ'''
|
|-
| বিভব:
| বল
| ভোল্টেজ
|-
| ফ্লাক্স:
| গতিবেগ
| তড়িৎ
|-
| '''মোবিলিটি অ্যানালগ'''
|
|-
| বিভব:
| গতিবেগ
| ভোল্টেজ
|-
| ফ্লাক্স:
| বল
| তড়িৎ
|-
|}
অনেকের ক্ষেত্রেই যান্ত্রিক সিস্টেমের বিশ্লেষণের ক্ষেত্রে ''মোবিলিটি অ্যানালগ'' পদ্ধতির ব্যাবহার অপেক্ষাকৃত সহজ বলে মনে হয়, কারন এতে ফ্লাক্স বা তড়িৎচালক বলকে সমতুল্য হিসাবে বিবেচনা করা হয়। তবে, যেকোনো পদ্ধতি ব্যবহার করেই একই ফলাফল পাওয়া যায় এবং প্রয়োজনে [[w:ডট গুণন|ডুয়াল (ডট) পদ্ধতি]] ব্যবহার করে একটিকে অন্যটিতে রূপান্তরও করা যায়।
==একটি দোলক যান্ত্রিক ব্যাবস্থার মৌলিক উপাদানসমূহ==
'''যান্ত্রিক স্প্রিং:'''
: [[File:resistor11.jpg]]
ধারণা করা হয় যে, যেকোন আদর্শ স্প্রিং তার ''স্থিতিস্থাপক সীমা'' বা ''ইলাস্টিক লিমিট'' -এর মধ্যে ক্রিয়াশীল। আদর্শ স্প্রিং -এর এই আচরণকে [[w:হুকের সূত্র|হুকের সূত্রের]] সাথে সম্পর্কিত করা যায়। আদর্শ স্প্রিং -কে ভরবিহীন এবং অবমন্দন (''ড্যাম্পিং'')<ref>[[Wikipedia: Damping]]</ref> প্রভাবমুক্ত হিসাবেও বিবেচনা করা হয়।
:<math> F=-cx, \ </math>
'''যান্ত্রিক ভর:'''
একটি কম্পনরত সিস্টেমে কোন ভরযুক্ত বস্তুর অবস্থান [[w:ত্বরণ|ত্বরণকে]] প্রতিরোধ করে। নিউটনের দ্বিতীয় সূত্র অনুসারে:
:<math>F=mx^{\prime\prime}=ma=m\frac{du}{dt}</math>
:<math>F=K\int\,u dt</math>
'''যান্ত্রিক রোধক:'''
: [[File:Dashpot.png]]
''ড্যাশপট''<ref>[[Wikipedia: Dashpot]]</ref> হল একটি আদর্শ নিঃশোষক যন্ত্র(''ভিসিয়াস ড্যাম্পার''), যা প্রধানত বেগের বিপরীত অভিমুখে ক্রিয়াশীল। এটিকে যান্ত্রিক রোধক হিসাবে ব্যাখা করা যায়।
:<math>F=R u\displaystyle</math>
'''আদর্শ উৎপাদক(আইডিয়াল জেনারেটর):'''
যে কোনও সিস্টেম বা ব্যাবস্থাকে চালনা করার জন্য দুটি আদর্শ উৎপাদক বা জেনারেটরের প্রয়োজন—একটি হল ''আদর্শ বেগ উৎপাদক''(আইডিয়াল ভেলোসিটি জেনারেটর) এবং অন্যটি হল ''আদর্শ বল উৎপাদক''(আইডিয়াল ফোর্স জেনারেটর)।
আদর্শ বেগ জেনারেটরকে একটি ক্র্যাঙ্ক<ref>[[Wikipedia: Crank (mechanism)]]</ref>-এর চিত্র দিয়ে বোঝানো যায় অথবা সরাসরি নিম্নরূপে প্রকাশ করা যায়:
<math>u(t)=f(t)</math>
আদর্শ বল জেনারেটরকে একটি তীরচিহ্ন দিয়ে চিত্রিত করা যায় অথবা নিম্নরূপে প্রকাশ করা যায়:
<math>F(t)=f(t)</math>
'''সরল অবমন্দনকারী যান্ত্রিক দোলক(সিম্পল ড্যাম্পড মেকানিকাল অসিলেটর):'''
: [[File:Forced_Oscillator.PNG]]
পরবর্তী বিভাগে আমরা একটি সরল যান্ত্রিক ব্যাবস্থা বা মেকানিকাল সিস্টেমকে মোবিলিটি অ্যানালগ অথবা ইম্পিডেন্স অ্যনালগ হিসাবে বিবেচনা করে তার বিশ্লেষণ করব। এই যান্ত্রিক সিস্টেমটি হয় আদর্শ বল উৎপাদক অথবা আদর্শ বেগ উৎপাদকের দ্বারা প্রভাবিত হবে এবং সিস্টেমের বিশ্লেষণের সময় আমরা শুধু [[w:সরল স্পন্দন গতি|সিম্পল হার্মোনিক গতির]] কথা বিবেচনা করে সমস্ত বিশ্লেষণ করব। যেকোন যান্ত্রিক সিস্টেমকে নির্দেশিত করা হয় '''m''' চিহ্নের মাধ্যমে। যান্ত্রিক ও ধ্বনিতাত্ত্বিক সিস্টেমের একত্র ব্যবহারের বিশ্লেষণের সময় এটি উপযোগী হয়ে ওঠে।
== ইম্পিডেন্স অ্যানালগ ==
'''যান্ত্রিক স্প্রিং:'''
একটি স্প্রিং -এর বল তার সাম্যাবস্থা থেকে বিচ্যুতির সাথে সম্পর্কিত। হুকের সূত্র অনুসারে;
:<math>F(t)=c_m \Delta x = c_m \int_{0}^{t} u( \tau )d \tau </math>
আমরা যদি কোন তড়িৎ বর্তনীর কথা বিবেচনা করি তাহলে যান্ত্রিক সিস্টেমের স্প্রিং -এর সমতুল্য আচরণ আমরা দেখতে পাই একটি [[w:ধারক|ক্যাপাসিটারের]] মধ্যে;
:<math>V(t)=\frac{1}{C}\int_{0}^{t} \,i(\tau) d\tau </math>
'''যান্ত্রিক ভর:'''
কোন ভরযুক্ত বস্তুর উপর প্রয়োগীকৃত বল তার গতিবেগের পরিবর্তন বা ত্বরণের উপর নির্ভরশীল। নিউটনের দ্বিতীয় গতিসূত্র অনুসারে,
:<math>F(t)=m_ma=m_m\frac{d}{dt}u(t)</math>
তড়িৎ বর্তনীতে সমতুল্য ব্যাবহার দেখা যায় [[w:আবেশক|ইন্ডাক্টরে]];
:<math>V(t)=L\frac{d}{dt}i(t)</math>
'''যান্ত্রিক রোধক:'''
সান্দ্র নিঃশোষক (ভিসিয়াস ড্যাম্পার) -এর ক্ষেত্রে বল এবং গতিবেগ সরাসরি সম্পর্কিত।
<math>F=R_m u\displaystyle</math>
তড়িৎ বর্তনীতে সমতুল্য ব্যাবহার দেখা যায় [[w:রোধক|রেসিস্টর]] -এর ক্ষেত্রে;
:<math>V=R i\displaystyle</math>
'''উদাহরণ:'''
এইভাবেই পূর্ব আলোচিত যান্ত্রিক দোলক একটি তড়িৎ বর্তনীতে পরিনত করা যায় যেখানে এক্টি রেসিস্টর (রোধক), ইন্ডাক্টর(আবেশক) এবং ক্যাপাসিটার(ধারক) পরস্পরের সাথে [[w:সমান্তরাল ও শ্রেণি বর্তনী|শ্রেনী বর্তনী সংযোগের]] মাধ্যমে যুক্ত। এই বিশেষ বর্তনী ''সিরিজ আর-এল-সি সার্কিট'' নামে পরিচিত।
[[File:RLC series circuit v1.svg]]
এই বর্তনীর সমস্ত বৈদ্যুতিন উপাদান (রোধক, আবেশক ও ধারক) -এর মধ্য দিয়ে সম পরিমান তড়িৎ প্রবাহ চালিত হয় এবং সমস্ত বৈদ্যুতিন উপাদানের বিভব পতন(ভোল্টেজ) -এর যোগফল জেনারটর(এক্ষেত্রে বর্তনীর সাথে যুক্ত তড়িৎ উৎস বা ব্যাটারী) -এর বিভব(ভোল্টেজ) -এর সাথে সমান হবে। এই তড়িৎ বর্তনীর সাথে যুক্ত আদর্শ তড়িৎশক্তি উৎপাদক একটি আদর্শ বল উৎপাদকের সমতুল্য হবে।
'''গুরুত্বপূর্ণ দ্রষ্টব্য:''' স্প্রিং এবং ড্যাশপটের জন্য পরিমাপ করা বেগ হল আপেক্ষিক বেগ (এক প্রান্তের বেগ অন্য প্রান্তের বেগ বিয়োগ করে)। ভরবেগ হল পরম বেগ।
'''ইম্পিডেন্সেস:'''
{| class="wikitable"
! উপাদান
!
! ইম্পিডেন্স
|-
| স্প্রিং
| ধারক
| <math>Z_c = \frac{V_c}{I_c} = \frac{c_m}{j \omega } </math>
|-
| ভর
| আবেশক(ইন্ডাক্টর)
| <math>Z_m = \frac{V_m}{I_m} = j \omega m_m</math>
|-
| ড্যাশপট
| রোধক(রেসিস্টর)
| <math>Z_d = \frac{V_m}{I_m} = R_m</math>
|}
== মোবিলিটি অ্যানালগ ==
ইম্পিডেন্স অ্যানালগের মতোই মোবিলিটি অ্যানালগেও যান্ত্রিক ব্যাবস্থার মৌলিক উপাদানগুলির সমতুল্য বৈদ্যুতিন উপাদান দিয়ে তড়িৎ বর্তনী নির্মান করা যাবে। তবে বেশিরভাগ তড়িৎ বর্তনীতে ভোল্টেজ বা বিভবকে সংজ্ঞায়িত করা হয় বর্তনীর অন্তরবর্তী তড়িৎপ্রবাহের পরিপ্রেক্ষিতে কিন্তু এক্ষেত্রে গতিবেগের বিশ্লেষণ হবে বলের পরিপ্রেক্ষিতে যা চিরাচরিত বিশ্লেষণের থেকে ভিন্ন। যাইহোক, সহজ বীজগাণিতের সাহায্যে এই ভিন্নতার সমাধান করা সম্ভব।
'''যান্ত্রিক স্প্রিং:'''
:<math>F(t)= c_m \int u(t)d t</math>
তড়িৎ বর্তনীতে সমতুল্য ব্যাবহার দেখা যায় আবেশক বা ইন্ডাকটরের ক্ষেত্রে,
:<math>\int V dt=\int L \frac{d}{dt} i(t) dt</math>
:<math>i=\frac{1}{L}\int\,V dt</math>
'''যান্ত্রিক ভর:'''
:<math>F=m_ma=m_m\frac{d}{dt}u(t)</math>
স্প্রিং -এর মতোই, যদি আমরা একটি ক্যাপাসিটরের সাধারণ সমীকরণ নিই এবং [[w:অন্তরজ|ডিফারেন্সিয়ট]] করি,
:<math>\frac{d}{dt}V(t)=\frac{d}{dt}\frac{1}{C}\int \,i(t) dt </math>
:<math>i(t)=C\frac{d}{dt}V(t)</math>
'''যান্ত্রিক রোধক:'''
যেহেতু এক্ষেত্রে বল এবং বেগের সম্পর্ক আনুপাতিক, তাই যান্ত্রিক রোধক বিপরীতমুখী:
:<math>F=\frac{1}{r_m} u=R_m u</math>
:<math>i=\frac{1}{R}V</math>
'''উদাহরণ:'''
এইভাবেই পূর্ব আলোচিত যান্ত্রিক দোলক একটি তড়িৎ বর্তনীতে পরিনত করা যায় যেখানে এক্টি রেসিস্টর (রোধক), ইন্ডাক্টর(আবেশক) এবং ক্যাপাসিটার(ধারক) পরস্পরের সাথে [[w:সমান্তরাল ও শ্রেণি বর্তনী|সমান্তরাল বর্তনী সংযোগের]] মাধ্যমে যুক্ত। এই বিশেষ বর্তনী ''প্যারালাল আর-এল-সি সার্কিট'' নামে পরিচিত।
[[File:RLC_parallel_circuit.png]]
এই বর্তনীর সমস্ত বৈদ্যুতিন উপাদান (রোধক, আবেশক ও ধারক) -এর বিভব প্রভেদ সমান হয়। এই মোবিলিটি অ্যানালগ সিস্টেমকে প্রায়শই ইম্পিডেন্স অ্যানালগের তুলনায় বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয় কারণ, এই সিস্টেমের মধ্যে প্রবাহিত বলকে একটি ফ্লাক্স হিসাবে কল্পনা করা সহজসাধ্য। এই তড়িৎ বর্তনীতে আদর্শ ভোল্টেজ বা বিভব জেনারেটরটি একটি আদর্শ বেগ উৎপাদকের সাথে সমতুল্য।
'''গুরুত্বপূর্ণ দ্রষ্টব্য:''' যেহেতু এক্ষেত্রে ভরবেগের মান চরম তাই এই বিশ্লেষণের ক্ষেত্রে ক্যাপাসিটর বা ধারকের একটি প্রান্তকে সর্বদা গ্রাউন্ডেড অর্থাৎ শূন্য বিভবে রাখতে হবে। কোন ধারক, যার দুটি প্রান্ত শূন্য বিভব ব্যাতীত অন্য কোন মানের বিভবের সাথে যুক্ত তাকে কখনো কখোনো [[w:ইনভার্টার|ইনভার্টার]] হিসাবে বিবেচনা করা হয়।
'''ইম্পিডেন্সেস:'''
{| class="wikitable"
! উপাদান
!
! ইম্পিডেন্স
|-
| স্প্রিং
| আবেশক(ইন্ডাক্টর)
| <math>Z_c = \frac{V_m}{I_m} = \frac{j \omega}{c_m}</math>
|-
| বর
| ধারক(ক্যাপাসিটর)
| <math>Z_m = \frac{V_c}{I_c} = \frac{1}{j \omega m_m} </math>
|-
| ড্যাশপট
| রোধক(রেসিস্টর)
| <math>Z_d = \frac{V_m}{I_m} = r_m = \frac{1}{R_m}</math>
|}
==তথ্যসূত্র==
{{reflist}}
{{BookCat}}
d0mg3nusomxmpl4vlbfigcdo4e9imre
রন্ধনপ্রণালী:শাহী ডাল মাখনি
104
25799
84748
80496
2025-06-18T00:22:39Z
Mehedi Abedin
7113
Mehedi Abedin [[রন্ধনপ্রণালী:শাহী দাল মাখনি]] কে [[রন্ধনপ্রণালী:শাহী ডাল মাখনি]] শিরোনামে স্থানান্তর করেছেন
80496
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = তরকারি
| পরিবেশন = ৪–৫ জন
| তৈরির সময় = ২ ঘণ্টা
| কষ্টসাধ্য = ৪
| খাদ্য শক্তি = উচ্চ
| টীকা = শাহী দাল মাখনি একটি প্রাচীন মুঘল আমলের পদ, যা ভারতে বিশেষ করে পাঞ্জাব অঞ্চলে অত্যন্ত জনপ্রিয়। এটি ঘন, মাখনের স্বাদে ভরপুর এবং বিভিন্ন রকমের ডালের সংমিশ্রণে প্রস্তুত একটি রাজকীয় পদ।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''শাহী দাল মাখনি'''</big></center>
শাহী দাল মাখনি একটি ঐতিহাসিক এবং আভিজাত্যে ভরপুর ভারতীয় মসুর ও রাজমার পদ যা উপমহাদেশের ধাবা সংস্কৃতিতে অতি জনপ্রিয়। ঘন মাখনের স্বাদ, ধীরে ধীরে রান্নার ধরণ এবং ঘি ও মশলার সুঘ্রাণে এই পদটি চিরন্তন শ্রেণির খাবারে পরিণত হয়েছে। ভারতে পাঞ্জাব অঞ্চলে এটি বিশেষভাবে জনপ্রিয় হলেও, বর্তমানে বাংলাদেশসহ উপমহাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এটি ঘরোয়া ও রেস্টুরেন্টের প্রিয় খাবারে পরিণত হয়েছে।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! নাম !! পরিমাণ
|-
| কালো উড়দ ডাল || ১ কাপ
|-
| রাজমা || ১/২ কাপ
|-
| পেঁয়াজ বাটা || ১/২ কাপ
|-
| রসুন বাটা || ১ চা চামচ
|-
| আদা বাটা || ১ চা চামচ
|-
| টমেটো বাটা || ১ কাপ
|-
| শুকনো মরিচ গুঁড়ো || ১ চা চামচ
|-
| হলুদ গুঁড়ো || ১/২ চা চামচ
|-
| জিরা গুঁড়ো || ১ চা চামচ
|-
| মাখন || ৪ টেবিল চামচ
|-
| তাজা মালাই বা দুধের সর || ১/২ কাপ
|-
| লবণ || স্বাদমতো
|-
| ঘি || ২ টেবিল চামচ
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# উড়দ ডাল এবং রাজমা একসাথে ধুয়ে রাতে ভিজিয়ে রাখুন। পরদিন সকালে এই ডালগুলো চাপকলে সিদ্ধ করুন যতক্ষণ না ডালগুলি একেবারে গলে যায়।
# অন্য একটি পাত্রে মাখন গরম করে তাতে প্রথমে জিরা ছেড়ে দিন। তারপর একে একে পেঁয়াজ বাটা, আদা-রসুন বাটা দিয়ে ভাজতে থাকুন যতক্ষণ না সুবাস আসে।
# টমেটো বাটা দিয়ে ভালোভাবে নাড়ুন। এরপর শুকনো মরিচ গুঁড়ো, হলুদ, জিরা গুঁড়ো এবং লবণ দিন। মশলা কষানো হলে আগে সিদ্ধ করে রাখা ডাল ও রাজমা দিন।
# ভালোভাবে নাড়াচাড়া করে মাখনের স্বাদ মিশিয়ে নিন। তারপর দুধের সর বা মালাই দিয়ে ৩০–৪০ মিনিট ধীরে ধীরে রান্না করুন। মাঝে মাঝে নাড়তে থাকুন যাতে নিচে না লাগে।
# শেষে ঘি ছড়িয়ে দিন এবং চুলা থেকে নামিয়ে দিন। ঢেকে রাখুন যাতে সুগন্ধ মিশে যায়।
== পরিবেশন ==
এই শাহী দাল মাখনি পরিবেশন করা যায় ঘিয়ে ভাজা পরোটা, তান্দুরি রুটি কিংবা বাসমতি ভাতের সাথে। এটি যেকোনো উৎসব বা অতিথি আপ্যায়নের জন্য উপযুক্ত এবং পাকস্থলিকে পরিপূর্ণ তৃপ্তি দেয়।
== পরামর্শ ==
* রাজমা ও উড়দ ডাল একসাথে ভালভাবে সিদ্ধ না হলে পরবর্তীতে ঢলঢলে হয়ে যাবে, তাই চাপকলে ৫-৬ সিটি পর্যন্ত সিদ্ধ করা উত্তম।
* চাইলে কিছুটা ধোঁয়া যুক্ত করতে কয়লা পোড়ানো একটি পাত্রে দিয়ে ঢেকে রাখতে পারেন ৫ মিনিটের জন্য। এতে ধাবা স্বাদ আসবে।
== স্বাস্থ্য উপকারিতা ও ঝুঁকি ==
উড়দ ডাল এবং রাজমা প্রোটিন ও আঁশসমৃদ্ধ হওয়ায় পুষ্টিকর একটি বিকল্প। যারা নিরামিষাশী, তাদের জন্য এটি একটি পূর্ণাঙ্গ খাদ্য উপাদান হতে পারে। তবে যেহেতু এটি মাখন ও ঘি-ভিত্তিক রান্না, তাই উচ্চ ক্যালরি ও চর্বিজাত উপাদানযুক্ত, বিশেষ করে হৃদরোগ বা কোলেস্টেরল সমস্যায় আক্রান্তদের জন্য সংযতভাবে খাওয়া উত্তম।
== ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক গুরুত্ব ==
শাহী দাল মাখনি মূলত মুঘল আমলে উদ্ভূত একটি রাজকীয় রন্ধনপ্রণালী। পরবর্তীতে এটি পাঞ্জাবি ধাবাগুলোর প্রধান আকর্ষণ হয়ে ওঠে। বর্তমানে উপমহাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এর স্বাদকে ঘিরে তৈরি হয়েছে এক বিশেষ আবেগ ও গর্ব। এটি শুধু একটি খাবার নয়, বরং একটি ঐতিহ্যের বাহক।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:ভারতীয় খাবার]]
[[Category:ডাল জাতীয় পদ]]
[[Category:ঐতিহ্যবাহী খাবার]]
75xzb2tksv636a09jufb8vrnhlk4gh8
84752
84748
2025-06-18T00:23:30Z
Mehedi Abedin
7113
84752
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = তরকারি
| পরিবেশন = ৪–৫ জন
| তৈরির সময় = ২ ঘণ্টা
| কষ্টসাধ্য = ৪
| খাদ্য শক্তি = উচ্চ
| টীকা = শাহী ডাল মাখনি একটি প্রাচীন মুঘল আমলের পদ, যা ভারতে বিশেষ করে পাঞ্জাব অঞ্চলে অত্যন্ত জনপ্রিয়। এটি ঘন, মাখনের স্বাদে ভরপুর এবং বিভিন্ন রকমের ডালের সংমিশ্রণে প্রস্তুত একটি রাজকীয় পদ।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''শাহী ডাল মাখনি'''</big></center>
শাহী ডাল মাখনি একটি ঐতিহাসিক এবং আভিজাত্যে ভরপুর ভারতীয় মসুর ও রাজমার পদ যা উপমহাদেশের ধাবা সংস্কৃতিতে অতি জনপ্রিয়। ঘন মাখনের স্বাদ, ধীরে ধীরে রান্নার ধরণ এবং ঘি ও মশলার সুঘ্রাণে এই পদটি চিরন্তন শ্রেণির খাবারে পরিণত হয়েছে। ভারতে পাঞ্জাব অঞ্চলে এটি বিশেষভাবে জনপ্রিয় হলেও, বর্তমানে বাংলাদেশসহ উপমহাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এটি ঘরোয়া ও রেস্টুরেন্টের প্রিয় খাবারে পরিণত হয়েছে।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! নাম !! পরিমাণ
|-
| কালো উড়দ ডাল || ১ কাপ
|-
| রাজমা || ১/২ কাপ
|-
| পেঁয়াজ বাটা || ১/২ কাপ
|-
| রসুন বাটা || ১ চা চামচ
|-
| আদা বাটা || ১ চা চামচ
|-
| টমেটো বাটা || ১ কাপ
|-
| শুকনো মরিচ গুঁড়ো || ১ চা চামচ
|-
| হলুদ গুঁড়ো || ১/২ চা চামচ
|-
| জিরা গুঁড়ো || ১ চা চামচ
|-
| মাখন || ৪ টেবিল চামচ
|-
| তাজা মালাই বা দুধের সর || ১/২ কাপ
|-
| লবণ || স্বাদমতো
|-
| ঘি || ২ টেবিল চামচ
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# উড়দ ডাল এবং রাজমা একসাথে ধুয়ে রাতে ভিজিয়ে রাখুন। পরদিন সকালে এই ডালগুলো চাপকলে সিদ্ধ করুন যতক্ষণ না ডালগুলি একেবারে গলে যায়।
# অন্য একটি পাত্রে মাখন গরম করে তাতে প্রথমে জিরা ছেড়ে দিন। তারপর একে একে পেঁয়াজ বাটা, আদা-রসুন বাটা দিয়ে ভাজতে থাকুন যতক্ষণ না সুবাস আসে।
# টমেটো বাটা দিয়ে ভালোভাবে নাড়ুন। এরপর শুকনো মরিচ গুঁড়ো, হলুদ, জিরা গুঁড়ো এবং লবণ দিন। মশলা কষানো হলে আগে সিদ্ধ করে রাখা ডাল ও রাজমা দিন।
# ভালোভাবে নাড়াচাড়া করে মাখনের স্বাদ মিশিয়ে নিন। তারপর দুধের সর বা মালাই দিয়ে ৩০–৪০ মিনিট ধীরে ধীরে রান্না করুন। মাঝে মাঝে নাড়তে থাকুন যাতে নিচে না লাগে।
# শেষে ঘি ছড়িয়ে দিন এবং চুলা থেকে নামিয়ে দিন। ঢেকে রাখুন যাতে সুগন্ধ মিশে যায়।
== পরিবেশন ==
এই শাহী ডাল মাখনি পরিবেশন করা যায় ঘিয়ে ভাজা পরোটা, তান্দুরি রুটি কিংবা বাসমতি ভাতের সাথে। এটি যেকোনো উৎসব বা অতিথি আপ্যায়নের জন্য উপযুক্ত এবং পাকস্থলিকে পরিপূর্ণ তৃপ্তি দেয়।
== পরামর্শ ==
* রাজমা ও উড়দ ডাল একসাথে ভালভাবে সিদ্ধ না হলে পরবর্তীতে ঢলঢলে হয়ে যাবে, তাই চাপকলে ৫-৬ সিটি পর্যন্ত সিদ্ধ করা উত্তম।
* চাইলে কিছুটা ধোঁয়া যুক্ত করতে কয়লা পোড়ানো একটি পাত্রে দিয়ে ঢেকে রাখতে পারেন ৫ মিনিটের জন্য। এতে ধাবা স্বাদ আসবে।
== স্বাস্থ্য উপকারিতা ও ঝুঁকি ==
উড়দ ডাল এবং রাজমা প্রোটিন ও আঁশসমৃদ্ধ হওয়ায় পুষ্টিকর একটি বিকল্প। যারা নিরামিষাশী, তাদের জন্য এটি একটি পূর্ণাঙ্গ খাদ্য উপাদান হতে পারে। তবে যেহেতু এটি মাখন ও ঘি-ভিত্তিক রান্না, তাই উচ্চ ক্যালরি ও চর্বিজাত উপাদানযুক্ত, বিশেষ করে হৃদরোগ বা কোলেস্টেরল সমস্যায় আক্রান্তদের জন্য সংযতভাবে খাওয়া উত্তম।
== ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক গুরুত্ব ==
শাহী ডাল মাখনি মূলত মুঘল আমলে উদ্ভূত একটি রাজকীয় রন্ধনপ্রণালী। পরবর্তীতে এটি পাঞ্জাবি ধাবাগুলোর প্রধান আকর্ষণ হয়ে ওঠে। বর্তমানে উপমহাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এর স্বাদকে ঘিরে তৈরি হয়েছে এক বিশেষ আবেগ ও গর্ব। এটি শুধু একটি খাবার নয়, বরং একটি ঐতিহ্যের বাহক।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:ভারতীয় খাবার]]
[[Category:ডাল জাতীয় পদ]]
[[Category:ঐতিহ্যবাহী খাবার]]
nbg51cf4v9mz4zjuvxagvd13ml0ba70
84753
84752
2025-06-18T00:24:27Z
Mehedi Abedin
7113
84753
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = তরকারি
| পরিবেশন = ৪–৫ জন
| তৈরির সময় = ২ ঘণ্টা
| কষ্টসাধ্য = ৪
| খাদ্য শক্তি = উচ্চ
| টীকা = প্রাচীন মুঘল আমলের পদ, যা ভারতে বিশেষ করে পাঞ্জাব অঞ্চলে অত্যন্ত জনপ্রিয়। এটি ঘন, মাখনের স্বাদে ভরপুর এবং বিভিন্ন রকমের ডালের সংমিশ্রণে প্রস্তুত একটি রাজকীয় পদ।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''শাহী ডাল মাখনি'''</big></center>
শাহী ডাল মাখনি একটি ঐতিহাসিক এবং আভিজাত্যে ভরপুর ভারতীয় মসুর ও রাজমার পদ যা উপমহাদেশের ধাবা সংস্কৃতিতে অতি জনপ্রিয়। ঘন মাখনের স্বাদ, ধীরে ধীরে রান্না করার ধরণ এবং ঘি ও মশলার সুঘ্রাণ বিশিষ্ট এই পদটি সকল শ্রেণির খাবারে পরিণত হয়েছে। ভারতে পাঞ্জাব অঞ্চলে এটি বিশেষভাবে জনপ্রিয় হলেও, বর্তমানে বাংলাদেশসহ উপমহাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এটি ঘরোয়া ও রেস্টুরেন্টের প্রিয় খাবারে পরিণত হয়েছে।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! নাম !! পরিমাণ
|-
| কালো উড়দ ডাল || ১ কাপ
|-
| রাজমা || ১/২ কাপ
|-
| পেঁয়াজ বাটা || ১/২ কাপ
|-
| রসুন বাটা || ১ চা চামচ
|-
| আদা বাটা || ১ চা চামচ
|-
| টমেটো বাটা || ১ কাপ
|-
| শুকনো মরিচ গুঁড়ো || ১ চা চামচ
|-
| হলুদ গুঁড়ো || ১/২ চা চামচ
|-
| জিরা গুঁড়ো || ১ চা চামচ
|-
| মাখন || ৪ টেবিল চামচ
|-
| তাজা মালাই বা দুধের সর || ১/২ কাপ
|-
| লবণ || স্বাদমতো
|-
| ঘি || ২ টেবিল চামচ
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# উড়দ ডাল এবং রাজমা একসাথে ধুয়ে রাতে ভিজিয়ে রাখুন। পরদিন সকালে এই ডালগুলো চাপকলে সিদ্ধ করুন যতক্ষণ না ডালগুলি একেবারে গলে যায়।
# অন্য একটি পাত্রে মাখন গরম করে তাতে প্রথমে জিরা ছেড়ে দিন। তারপর একে একে পেঁয়াজ বাটা, আদা-রসুন বাটা দিয়ে ভাজতে থাকুন যতক্ষণ না সুবাস আসে।
# টমেটো বাটা দিয়ে ভালোভাবে নাড়ুন। এরপর শুকনো মরিচ গুঁড়ো, হলুদ, জিরা গুঁড়ো এবং লবণ দিন। মশলা কষানো হলে আগে সিদ্ধ করে রাখা ডাল ও রাজমা দিন।
# ভালোভাবে নাড়াচাড়া করে মাখনের স্বাদ মিশিয়ে নিন। তারপর দুধের সর বা মালাই দিয়ে ৩০–৪০ মিনিট ধীরে ধীরে রান্না করুন। মাঝে মাঝে নাড়তে থাকুন যাতে নিচে না লাগে।
# শেষে ঘি ছড়িয়ে দিন এবং চুলা থেকে নামিয়ে দিন। ঢেকে রাখুন যাতে সুগন্ধ মিশে যায়।
== পরিবেশন ==
এই শাহী ডাল মাখনি পরিবেশন করা যায় ঘিয়ে ভাজা পরোটা, তান্দুরি রুটি কিংবা বাসমতি ভাতের সাথে। এটি যেকোনো উৎসব বা অতিথি আপ্যায়নের জন্য উপযুক্ত এবং পাকস্থলিকে পরিপূর্ণ তৃপ্তি দেয়।
== পরামর্শ ==
* রাজমা ও উড়দ ডাল একসাথে ভালভাবে সিদ্ধ না হলে পরবর্তীতে ঢলঢলে হয়ে যাবে, তাই চাপকলে ৫-৬ সিটি পর্যন্ত সিদ্ধ করা উত্তম।
* চাইলে কিছুটা ধোঁয়া যুক্ত করতে কয়লা পোড়ানো একটি পাত্রে দিয়ে ঢেকে রাখতে পারেন ৫ মিনিটের জন্য। এতে ধাবা স্বাদ আসবে।
== স্বাস্থ্য উপকারিতা ও ঝুঁকি ==
উড়দ ডাল এবং রাজমা প্রোটিন ও আঁশসমৃদ্ধ হওয়ায় পুষ্টিকর একটি বিকল্প। যারা নিরামিষাশী, তাদের জন্য এটি একটি পূর্ণাঙ্গ খাদ্য উপাদান হতে পারে। তবে যেহেতু এটি মাখন ও ঘি-ভিত্তিক রান্না, তাই উচ্চ ক্যালরি ও চর্বিজাত উপাদানযুক্ত, বিশেষ করে হৃদরোগ বা কোলেস্টেরল সমস্যায় আক্রান্তদের জন্য সংযতভাবে খাওয়া উত্তম।
== ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক গুরুত্ব ==
শাহী ডাল মাখনি মূলত মুঘল আমলে উদ্ভূত একটি রাজকীয় রন্ধনপ্রণালী। পরবর্তীতে এটি পাঞ্জাবি ধাবাগুলোর প্রধান আকর্ষণ হয়ে ওঠে। বর্তমানে উপমহাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এর স্বাদকে ঘিরে তৈরি হয়েছে এক বিশেষ আবেগ ও গর্ব। এটি শুধু একটি খাবার নয়, বরং একটি ঐতিহ্যের বাহক।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:ভারতীয় খাবার]]
[[Category:ডাল জাতীয় পদ]]
[[Category:ঐতিহ্যবাহী খাবার]]
93xocmx3jf2q67cq1ixav28a9ld4lcz
84754
84753
2025-06-18T00:25:41Z
Mehedi Abedin
7113
84754
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = তরকারি
| পরিবেশন = ৪–৫ জন
| তৈরির সময় = ২ ঘণ্টা
| কষ্টসাধ্য = ৪
| খাদ্য শক্তি = উচ্চ
| টীকা = প্রাচীন মুঘল আমলের পদ, যা ভারতে বিশেষ করে পাঞ্জাব অঞ্চলে অত্যন্ত জনপ্রিয়। এটি ঘন, মাখনের স্বাদে ভরপুর এবং বিভিন্ন রকমের ডালের সংমিশ্রণে প্রস্তুত একটি রাজকীয় পদ।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''শাহী ডাল মাখনি'''</big></center>
শাহী ডাল মাখনি একটি ঐতিহাসিক এবং আভিজাত্যে ভরপুর ভারতীয় মসুর ও রাজমার পদ যা উপমহাদেশের ধাবা সংস্কৃতিতে অতি জনপ্রিয়। ঘন মাখনের স্বাদ, ধীরে ধীরে রান্না করার ধরণ এবং ঘি ও মশলার সুঘ্রাণ বিশিষ্ট এই পদটি সকল শ্রেণির খাবারে পরিণত হয়েছে। ভারতে পাঞ্জাব অঞ্চলে এটি বিশেষভাবে জনপ্রিয় হলেও, বর্তমানে বাংলাদেশসহ উপমহাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এটি ঘরোয়া ও রেস্টুরেন্টের প্রিয় খাবারে পরিণত হয়েছে।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! নাম !! পরিমাণ
|-
| কালো উড়দ ডাল || ১ কাপ
|-
| রাজমা || ১/২ কাপ
|-
| পেঁয়াজ বাটা || ১/২ কাপ
|-
| রসুন বাটা || ১ চা চামচ
|-
| আদা বাটা || ১ চা চামচ
|-
| টমেটো বাটা || ১ কাপ
|-
| শুকনো মরিচ গুঁড়ো || ১ চা চামচ
|-
| হলুদ গুঁড়ো || ১/২ চা চামচ
|-
| জিরা গুঁড়ো || ১ চা চামচ
|-
| মাখন || ৪ টেবিল চামচ
|-
| তাজা মালাই বা দুধের সর || ১/২ কাপ
|-
| লবণ || স্বাদমতো
|-
| ঘি || ২ টেবিল চামচ
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# উড়দ ডাল এবং রাজমা একসাথে ধুয়ে রাতে ভিজিয়ে রাখুন। পরদিন সকালে এই ডালগুলো চাপকলে সিদ্ধ করুন যতক্ষণ না ডালগুলি একেবারে গলে যায়।
# অন্য একটি পাত্রে মাখন গরম করে তাতে প্রথমে জিরা ছেড়ে দিন। তারপর একে একে পেঁয়াজ বাটা, আদা-রসুন বাটা দিয়ে ভাজতে থাকুন যতক্ষণ না সুবাস আসে।
# টমেটো বাটা দিয়ে ভালোভাবে নাড়ুন। এরপর শুকনো মরিচ গুঁড়ো, হলুদ, জিরা গুঁড়ো এবং লবণ দিন। মশলা কষানো হলে আগে সিদ্ধ করে রাখা ডাল ও রাজমা দিন।
# ভালোভাবে নাড়াচাড়া করে মাখনের স্বাদ মিশিয়ে নিন। তারপর দুধের সর বা মালাই দিয়ে ৩০–৪০ মিনিট ধীরে ধীরে রান্না করুন। মাঝে মাঝে নাড়তে থাকুন যাতে নিচে না লাগে।
# শেষে ঘি ছড়িয়ে দিন এবং চুলা থেকে নামিয়ে দিন। ঢেকে রাখুন যাতে সুগন্ধ মিশে যায়।
== পরিবেশন ==
এই শাহী ডাল মাখনি পরিবেশন করা যায় ঘিয়ে ভাজা পরোটা, তান্দুরি রুটি কিংবা বাসমতি ভাতের সাথে। এটি যেকোনো উৎসব বা অতিথি আপ্যায়নের জন্য উপযুক্ত এবং পাকস্থলিকে পরিপূর্ণ তৃপ্তি দেয়।
== পরামর্শ ==
* রাজমা ও উড়দ ডাল একসাথে ভালভাবে সিদ্ধ না হলে পরবর্তীতে ঢলঢলে হয়ে যাবে, তাই চাপকলে ৫-৬ সিটি পর্যন্ত সিদ্ধ করা উত্তম।
* চাইলে কিছুটা ধোঁয়া যুক্ত করতে কয়লা পোড়ানো একটি পাত্রে দিয়ে ঢেকে রাখতে পারেন ৫ মিনিটের জন্য। এতে ধাবা স্বাদ আসবে।
== স্বাস্থ্য উপকারিতা ও ঝুঁকি ==
উড়দ ডাল এবং রাজমা প্রোটিন ও আঁশসমৃদ্ধ হওয়ায় পুষ্টিকর একটি বিকল্প। যারা নিরামিষাশী, তাদের জন্য এটি একটি পূর্ণাঙ্গ খাদ্য উপাদান হতে পারে। তবে যেহেতু এটি মাখন ও ঘি-ভিত্তিক রান্না, তাই উচ্চ ক্যালরি ও চর্বিজাত উপাদানযুক্ত, বিশেষ করে হৃদরোগ বা কোলেস্টেরল সমস্যায় আক্রান্তদের জন্য সংযতভাবে খাওয়া উত্তম।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:ভারতীয় খাবার]]
[[Category:ডাল জাতীয় পদ]]
[[Category:ঐতিহ্যবাহী খাবার]]
06xab5fjazmys2xrdapz6ntf5i85a1r
84755
84754
2025-06-18T00:25:50Z
Mehedi Abedin
7113
84755
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = তরকারি
| পরিবেশন = ৪–৫ জন
| তৈরির সময় = ২ ঘণ্টা
| কষ্টসাধ্য = ৪
| খাদ্য শক্তি = উচ্চ
| টীকা = প্রাচীন মুঘল আমলের পদ, যা ভারতে বিশেষ করে পাঞ্জাব অঞ্চলে অত্যন্ত জনপ্রিয়। এটি ঘন, মাখনের স্বাদে ভরপুর এবং বিভিন্ন রকমের ডালের সংমিশ্রণে প্রস্তুত একটি রাজকীয় পদ।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''শাহী ডাল মাখনি'''</big></center>
শাহী ডাল মাখনি একটি ঐতিহাসিক এবং আভিজাত্যে ভরপুর ভারতীয় মসুর ও রাজমার পদ যা উপমহাদেশের ধাবা সংস্কৃতিতে অতি জনপ্রিয়। ঘন মাখনের স্বাদ, ধীরে ধীরে রান্না করার ধরণ এবং ঘি ও মশলার সুঘ্রাণ বিশিষ্ট এই পদটি সকল শ্রেণির খাবারে পরিণত হয়েছে। ভারতে পাঞ্জাব অঞ্চলে এটি বিশেষভাবে জনপ্রিয় হলেও, বর্তমানে বাংলাদেশসহ উপমহাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এটি ঘরোয়া ও রেস্টুরেন্টের প্রিয় খাবারে পরিণত হয়েছে।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! নাম !! পরিমাণ
|-
| কালো উড়দ ডাল || ১ কাপ
|-
| রাজমা || ১/২ কাপ
|-
| পেঁয়াজ বাটা || ১/২ কাপ
|-
| রসুন বাটা || ১ চা চামচ
|-
| আদা বাটা || ১ চা চামচ
|-
| টমেটো বাটা || ১ কাপ
|-
| শুকনো মরিচ গুঁড়ো || ১ চা চামচ
|-
| হলুদ গুঁড়ো || ১/২ চা চামচ
|-
| জিরা গুঁড়ো || ১ চা চামচ
|-
| মাখন || ৪ টেবিল চামচ
|-
| তাজা মালাই বা দুধের সর || ১/২ কাপ
|-
| লবণ || স্বাদমতো
|-
| ঘি || ২ টেবিল চামচ
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# উড়দ ডাল এবং রাজমা একসাথে ধুয়ে রাতে ভিজিয়ে রাখুন। পরদিন সকালে এই ডালগুলো চাপকলে সিদ্ধ করুন যতক্ষণ না ডালগুলি একেবারে গলে যায়।
# অন্য একটি পাত্রে মাখন গরম করে তাতে প্রথমে জিরা ছেড়ে দিন। তারপর একে একে পেঁয়াজ বাটা, আদা-রসুন বাটা দিয়ে ভাজতে থাকুন যতক্ষণ না সুবাস আসে।
# টমেটো বাটা দিয়ে ভালোভাবে নাড়ুন। এরপর শুকনো মরিচ গুঁড়ো, হলুদ, জিরা গুঁড়ো এবং লবণ দিন। মশলা কষানো হলে আগে সিদ্ধ করে রাখা ডাল ও রাজমা দিন।
# ভালোভাবে নাড়াচাড়া করে মাখনের স্বাদ মিশিয়ে নিন। তারপর দুধের সর বা মালাই দিয়ে ৩০–৪০ মিনিট ধীরে ধীরে রান্না করুন। মাঝে মাঝে নাড়তে থাকুন যাতে নিচে না লাগে।
# শেষে ঘি ছড়িয়ে দিন এবং চুলা থেকে নামিয়ে দিন। ঢেকে রাখুন যাতে সুগন্ধ মিশে যায়।
== পরিবেশন ==
এই শাহী ডাল মাখনি পরিবেশন করা যায় ঘিয়ে ভাজা পরোটা, তান্দুরি রুটি কিংবা বাসমতি ভাতের সাথে। এটি যেকোনো উৎসব বা অতিথি আপ্যায়নের জন্য উপযুক্ত এবং পাকস্থলিকে পরিপূর্ণ তৃপ্তি দেয়।
== পরামর্শ ==
* রাজমা ও উড়দ ডাল একসাথে ভালভাবে সিদ্ধ না হলে পরবর্তীতে ঢলঢলে হয়ে যাবে, তাই চাপকলে ৫-৬ সিটি পর্যন্ত সিদ্ধ করা উত্তম।
* চাইলে কিছুটা ধোঁয়া যুক্ত করতে কয়লা পোড়ানো একটি পাত্রে দিয়ে ঢেকে রাখতে পারেন ৫ মিনিটের জন্য। এতে ধাবা স্বাদ আসবে।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:ভারতীয় খাবার]]
[[Category:ডাল জাতীয় পদ]]
[[Category:ঐতিহ্যবাহী খাবার]]
hrejufpm3jmotei2314z6wc7of5k0a9
84756
84755
2025-06-18T00:26:24Z
Mehedi Abedin
7113
84756
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = তরকারি
| পরিবেশন = ৪–৫ জন
| তৈরির সময় = ২ ঘণ্টা
| কষ্টসাধ্য = ৪
| খাদ্য শক্তি = উচ্চ
| টীকা = প্রাচীন মুঘল আমলের পদ, যা ভারতে বিশেষ করে পাঞ্জাব অঞ্চলে অত্যন্ত জনপ্রিয়। এটি ঘন, মাখনের স্বাদে ভরপুর এবং বিভিন্ন রকমের ডালের সংমিশ্রণে প্রস্তুত একটি রাজকীয় পদ।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''শাহী ডাল মাখনি'''</big></center>
শাহী ডাল মাখনি একটি ঐতিহাসিক এবং আভিজাত্যে ভরপুর ভারতীয় মসুর ও রাজমার পদ যা উপমহাদেশের ধাবা সংস্কৃতিতে অতি জনপ্রিয়। ঘন মাখনের স্বাদ, ধীরে ধীরে রান্না করার ধরণ এবং ঘি ও মশলার সুঘ্রাণ বিশিষ্ট এই পদটি সকল শ্রেণির খাবারে পরিণত হয়েছে। ভারতে পাঞ্জাব অঞ্চলে এটি বিশেষভাবে জনপ্রিয় হলেও, বর্তমানে বাংলাদেশসহ উপমহাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এটি ঘরোয়া ও রেস্টুরেন্টের প্রিয় খাবারে পরিণত হয়েছে।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! নাম !! পরিমাণ
|-
| কালো উড়দ ডাল || ১ কাপ
|-
| রাজমা || ১/২ কাপ
|-
| পেঁয়াজ বাটা || ১/২ কাপ
|-
| রসুন বাটা || ১ চা চামচ
|-
| আদা বাটা || ১ চা চামচ
|-
| টমেটো বাটা || ১ কাপ
|-
| শুকনো মরিচ গুঁড়ো || ১ চা চামচ
|-
| হলুদ গুঁড়ো || ১/২ চা চামচ
|-
| জিরা গুঁড়ো || ১ চা চামচ
|-
| মাখন || ৪ টেবিল চামচ
|-
| তাজা মালাই বা দুধের সর || ১/২ কাপ
|-
| লবণ || স্বাদমতো
|-
| ঘি || ২ টেবিল চামচ
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# উড়দ ডাল এবং রাজমা একসাথে ধুয়ে রাতে ভিজিয়ে রাখুন। পরদিন সকালে এই ডালগুলো চাপকলে সিদ্ধ করুন যতক্ষণ না ডালগুলি একেবারে গলে যায়।
# অন্য একটি পাত্রে মাখন গরম করে তাতে প্রথমে জিরা ছেড়ে দিন। তারপর একে একে পেঁয়াজ বাটা, আদা-রসুন বাটা দিয়ে ভাজতে থাকুন যতক্ষণ না সুবাস আসে।
# টমেটো বাটা দিয়ে ভালোভাবে নাড়ুন। এরপর শুকনো মরিচ গুঁড়ো, হলুদ, জিরা গুঁড়ো এবং লবণ দিন। মশলা কষানো হলে আগে সিদ্ধ করে রাখা ডাল ও রাজমা দিন।
# ভালোভাবে নাড়াচাড়া করে মাখনের স্বাদ মিশিয়ে নিন। তারপর দুধের সর বা মালাই দিয়ে ৩০–৪০ মিনিট ধীরে ধীরে রান্না করুন। মাঝে মাঝে নাড়তে থাকুন যাতে নিচে না লাগে।
# শেষে ঘি ছড়িয়ে দিন এবং চুলা থেকে নামিয়ে দিন। ঢেকে রাখুন যাতে সুগন্ধ মিশে যায়।
== পরিবেশন ==
এই শাহী ডাল মাখনি পরিবেশন করা যায় ঘিয়ে ভাজা পরোটা, তান্দুরি রুটি কিংবা বাসমতি ভাতের সাথে। এটি যেকোনো উৎসব বা অতিথি আপ্যায়নের জন্য উপযুক্ত এবং পাকস্থলিকে পরিপূর্ণ তৃপ্তি দেয়।
== পরামর্শ ==
* রাজমা ও উড়দ ডাল একসাথে ভালভাবে সিদ্ধ না হলে পরবর্তীতে ঢলঢলে হয়ে যাবে, তাই প্রেশার কুকারে ৫-৬ সিটি পর্যন্ত সিদ্ধ করা উত্তম।
* চাইলে কিছুটা ধোঁয়া যুক্ত করতে কয়লা পোড়ানো একটি পাত্রে দিয়ে ঢেকে রাখতে পারেন ৫ মিনিটের জন্য। এতে ধাবার স্বাদ আসবে।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:ভারতীয় খাবার]]
[[Category:ডাল জাতীয় পদ]]
[[Category:ঐতিহ্যবাহী খাবার]]
h3d88gpix9uxsgfkz1cs46mvpbjyed5
84757
84756
2025-06-18T00:26:48Z
Mehedi Abedin
7113
84757
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = তরকারি
| পরিবেশন = ৪–৫ জন
| তৈরির সময় = ২ ঘণ্টা
| কষ্টসাধ্য = ৪
| খাদ্য শক্তি = উচ্চ
| টীকা = প্রাচীন মুঘল আমলের পদ, যা ভারতে বিশেষ করে পাঞ্জাব অঞ্চলে অত্যন্ত জনপ্রিয়। এটি ঘন, মাখনের স্বাদে ভরপুর এবং বিভিন্ন রকমের ডালের সংমিশ্রণে প্রস্তুত একটি রাজকীয় পদ।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''শাহী ডাল মাখনি'''</big></center>
শাহী ডাল মাখনি একটি ঐতিহাসিক এবং আভিজাত্যে ভরপুর ভারতীয় মসুর ও রাজমার পদ যা উপমহাদেশের ধাবা সংস্কৃতিতে অতি জনপ্রিয়। ঘন মাখনের স্বাদ, ধীরে ধীরে রান্না করার ধরণ এবং ঘি ও মশলার সুঘ্রাণ বিশিষ্ট এই পদটি সকল শ্রেণির খাবারে পরিণত হয়েছে। ভারতে পাঞ্জাব অঞ্চলে এটি বিশেষভাবে জনপ্রিয় হলেও, বর্তমানে বাংলাদেশসহ উপমহাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এটি ঘরোয়া ও রেস্টুরেন্টের প্রিয় খাবারে পরিণত হয়েছে।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! নাম !! পরিমাণ
|-
| কালো উড়দ ডাল || ১ কাপ
|-
| রাজমা || ১/২ কাপ
|-
| পেঁয়াজ বাটা || ১/২ কাপ
|-
| রসুন বাটা || ১ চা চামচ
|-
| আদা বাটা || ১ চা চামচ
|-
| টমেটো বাটা || ১ কাপ
|-
| শুকনো মরিচ গুঁড়ো || ১ চা চামচ
|-
| হলুদ গুঁড়ো || ১/২ চা চামচ
|-
| জিরা গুঁড়ো || ১ চা চামচ
|-
| মাখন || ৪ টেবিল চামচ
|-
| তাজা মালাই বা দুধের সর || ১/২ কাপ
|-
| লবণ || স্বাদমতো
|-
| ঘি || ২ টেবিল চামচ
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# উড়দ ডাল এবং রাজমা একসাথে ধুয়ে রাতে ভিজিয়ে রাখুন। পরদিন সকালে এই ডালগুলো চাপকলে সিদ্ধ করুন যতক্ষণ না ডালগুলি একেবারে গলে যায়।
# অন্য একটি পাত্রে মাখন গরম করে তাতে প্রথমে জিরা ছেড়ে দিন। তারপর একে একে পেঁয়াজ বাটা, আদা-রসুন বাটা দিয়ে ভাজতে থাকুন যতক্ষণ না সুবাস আসে।
# টমেটো বাটা দিয়ে ভালোভাবে নাড়ুন। এরপর শুকনো মরিচ গুঁড়ো, হলুদ, জিরা গুঁড়ো এবং লবণ দিন। মশলা কষানো হলে আগে সিদ্ধ করে রাখা ডাল ও রাজমা দিন।
# ভালোভাবে নাড়াচাড়া করে মাখনের স্বাদ মিশিয়ে নিন। তারপর দুধের সর বা মালাই দিয়ে ৩০–৪০ মিনিট ধীরে ধীরে রান্না করুন। মাঝে মাঝে নাড়তে থাকুন যাতে নিচে না লাগে।
# শেষে ঘি ছড়িয়ে দিন এবং চুলা থেকে নামিয়ে দিন। ঢেকে রাখুন যাতে সুগন্ধ মিশে যায়।
<span style=color:red;><center>'''পরিবেশন করুন ঘিয়ে ভাজা পরোটা, তান্দুরি রুটি কিংবা বাসমতি ভাতের সাথে।'''</center></span>
== পরামর্শ ==
* রাজমা ও উড়দ ডাল একসাথে ভালভাবে সিদ্ধ না হলে পরবর্তীতে ঢলঢলে হয়ে যাবে, তাই প্রেশার কুকারে ৫-৬ সিটি পর্যন্ত সিদ্ধ করা উত্তম।
* চাইলে কিছুটা ধোঁয়া যুক্ত করতে কয়লা পোড়ানো একটি পাত্রে দিয়ে ঢেকে রাখতে পারেন ৫ মিনিটের জন্য। এতে ধাবার স্বাদ আসবে।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:ভারতীয় খাবার]]
[[Category:ডাল জাতীয় পদ]]
[[Category:ঐতিহ্যবাহী খাবার]]
n50ddyxvp44ibgweik898xr9lfl51f5
84758
84757
2025-06-18T00:27:31Z
Mehedi Abedin
7113
84758
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = তরকারি
| পরিবেশন = ৪–৫ জন
| তৈরির সময় = ২ ঘণ্টা
| কষ্টসাধ্য = ৪
| খাদ্য শক্তি = উচ্চ
| টীকা = প্রাচীন মুঘল আমলের পদ, যা ভারতে বিশেষ করে পাঞ্জাব অঞ্চলে অত্যন্ত জনপ্রিয়। এটি ঘন, মাখনের স্বাদে ভরপুর এবং বিভিন্ন রকমের ডালের সংমিশ্রণে প্রস্তুত একটি রাজকীয় পদ।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''শাহী ডাল মাখনি'''</big></center>
শাহী ডাল মাখনি একটি ঐতিহাসিক এবং আভিজাত্যে ভরপুর ভারতীয় মসুর ও রাজমার পদ যা উপমহাদেশের ধাবা সংস্কৃতিতে অতি জনপ্রিয়। ঘন মাখনের স্বাদ, ধীরে ধীরে রান্না করার ধরণ এবং ঘি ও মশলার সুঘ্রাণ বিশিষ্ট এই পদটি সকল শ্রেণির খাবারে পরিণত হয়েছে। ভারতে পাঞ্জাব অঞ্চলে এটি বিশেষভাবে জনপ্রিয় হলেও, বর্তমানে বাংলাদেশসহ উপমহাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এটি ঘরোয়া ও রেস্টুরেন্টের প্রিয় খাবারে পরিণত হয়েছে।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! নাম !! পরিমাণ
|-
| কালো উড়দ ডাল || ১ কাপ
|-
| রাজমা || ১/২ কাপ
|-
| পেঁয়াজ বাটা || ১/২ কাপ
|-
| রসুন বাটা || ১ চা চামচ
|-
| আদা বাটা || ১ চা চামচ
|-
| টমেটো বাটা || ১ কাপ
|-
| শুকনো মরিচ গুঁড়ো || ১ চা চামচ
|-
| হলুদ গুঁড়ো || ১/২ চা চামচ
|-
| জিরা গুঁড়ো || ১ চা চামচ
|-
| মাখন || ৪ টেবিল চামচ
|-
| তাজা মালাই বা দুধের সর || ১/২ কাপ
|-
| লবণ || স্বাদমতো
|-
| ঘি || ২ টেবিল চামচ
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# উড়দ ডাল এবং রাজমা একসাথে ধুয়ে রাতে ভিজিয়ে রাখুন। পরদিন সকালে এই ডালগুলো প্রেশার কুকারে সিদ্ধ করুন যতক্ষণ না ডালগুলি একেবারে গলে যায়।
# অন্য একটি পাত্রে মাখন গরম করে তাতে প্রথমে জিরা ছেড়ে দিন। তারপর একে একে পেঁয়াজ বাটা, আদা-রসুন বাটা দিয়ে ভাজতে থাকুন যতক্ষণ না সুবাস আসে।
# টমেটো বাটা দিয়ে ভালোভাবে নাড়ুন। এরপর শুকনো মরিচ গুঁড়ো, হলুদ, জিরা গুঁড়ো এবং লবণ দিন। মশলা কষানো হলে আগে সিদ্ধ করে রাখা ডাল ও রাজমা দিন।
# ভালোভাবে নাড়াচাড়া করে মাখনের স্বাদ মিশিয়ে নিন। তারপর দুধের সর বা মালাই দিয়ে ৩০–৪০ মিনিট ধীরে ধীরে রান্না করুন। মাঝে মাঝে নাড়তে থাকুন যাতে নিচে না লাগে।
# শেষে ঘি ছড়িয়ে দিন এবং চুলা থেকে নামিয়ে দিন। ঢেকে রাখুন যাতে সুগন্ধ মিশে যায়।
<span style=color:red;><center>'''পরিবেশন করুন ঘিয়ে ভাজা পরোটা, তান্দুরি রুটি কিংবা বাসমতি ভাতের সাথে।'''</center></span>
== পরামর্শ ==
* রাজমা ও উড়দ ডাল একসাথে ভালভাবে সিদ্ধ না হলে পরবর্তীতে ঢলঢলে হয়ে যাবে, তাই প্রেশার কুকারে ৫-৬ সিটি পর্যন্ত সিদ্ধ করা উত্তম।
* চাইলে কিছুটা ধোঁয়া যুক্ত করতে কয়লা পোড়ানো একটি পাত্রে দিয়ে ঢেকে রাখতে পারেন ৫ মিনিটের জন্য। এতে ধাবার স্বাদ আসবে।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:ভারতীয় খাবার]]
[[Category:ডাল জাতীয় পদ]]
[[Category:ঐতিহ্যবাহী খাবার]]
gaa337pikg9walft1xlqhmkfjlkhbgf
রন্ধনপ্রণালী:ছানার পাতুরি
104
25803
84813
80513
2025-06-18T08:53:28Z
Mehedi Abedin
7113
84813
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = নিরামিষ রন্ধনপ্রণালী
| পরিবেশন = পরিমান অনুসারে, কমপক্ষে ৪-৫ জন।
| তৈরির সময় = ৪০-৫০ মিনিট
| কষ্টসাধ্য = ৪
| চিত্র =
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''ছানার পাতুরি'''</big></center>
ছানার পাতুরি একটি জনপ্রিয় বাঙালি নিরামিষ পদ, যা মূলত ছানা দিয়ে সরষে বাটা ও নারকেল মেশানো মসলা দিয়ে তৈরি করা হয়। এটি কলাপাতায় মুড়ে ভাপে সেদ্ধ করে বা হালকা ভেজে পরিবেশন করা হয়। পাতুরি শব্দটি এসেছে পাতা থেকে, কারণ এই রান্না পদ্ধতিতে খাবারটি কলাপাতা বা অনুরূপ পাতা দিয়ে মোড়া হয়। ছানার পাতুরিতে সাধারণত সরষে বাটা, নারকেল বাটা, সরষের তেল, কাঁচা লঙ্কা ও নুন ব্যবহার করে ছানাকে মেখে কলাপাতায় জড়ানো হয়, তারপর সেটি ভাপে বা কড়াইতে ঢেকে রান্না করা হয়। এই পদটি সুগন্ধে ভরপুর, ঝাল-মাখা এবং অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর, কারণ এতে কোনও অতিরিক্ত তেল বা ভাজাভুজি থাকে না। নিরামিষ আহারের এক বিশেষ আকর্ষণ এই ছানার পাতুরি, যা ভাতের সঙ্গে দুর্দান্ত লাগে।
==উপকরন==
{|class="wikitable"
! উপকরণ !! পরিমাণ
|-
| ছানা || ২৫০ গ্রাম (সাজানো বা হাতে গুঁড়ো করা)
|-
| সরষে বাটা || ২ টেবিল চামচ
|-
| নারকেল বাটা || ২ টেবিল চামচ
|-
| কাঁচা লঙ্কা বাটা || ২টি
|-
| হলুদ গুঁড়ো || ১/২ চা চামচ
|-
| নুন || স্বাদমতো
|-
| চিনি || ১/২ চা চামচ (ঐচ্ছিক)
|-
| সরষের তেল || ২ টেবিল চামচ (মিশ্রণে) + ১ টেবিল চামচ (ছাড়ার জন্য)
|-
| কলাপাতা || ৪–৬ টুকরো (পরিষ্কার করে হালকা গরম করে নরম করে নেওয়া)
|-
| সুতলি || পাতুরি বাঁধার জন্য
|}
== রন্ধনপ্রণালী ==
# প্রথমে ছানাটি হাতে বা চামচ দিয়ে হালকা চটকে নিন যাতে তা মসৃণ হয়।
# এরপর একটি বড় বাটিতে ছানা, সরষে বাটা, নারকেল বাটা, কাঁচা লঙ্কা বাটা, হলুদ গুঁড়ো, নুন, চিনি (ঐচ্ছিক) এবং ২ টেবিল চামচ সরষের তেল দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন।
# মিশ্রণটি যেন একেবারে মসৃণ হয় এবং স্বাদ অনুযায়ী নুন ঠিক আছে কিনা দেখে নিন।
# এবার কলাপাতাগুলো হালকা আগুনে/তাওয়ায় গরম করে নরম করে নিন যাতে সহজে ভাঁজ করা যায়।
# প্রতিটি কলাপাতায় ছানার মিশ্রণ ২–৩ টেবিল চামচ করে দিন এবং পাতার দুই পাশ থেকে ভাঁজ করে ছোট প্যাকেটের মতো করে সুতলি দিয়ে বেঁধে দিন।
# একটি ফ্রাইং প্যান বা কড়াইয়ে ১ টেবিল চামচ সরষের তেল গরম করে পাতুরিগুলো হালকা আঁচে ৮–১০ মিনিট করে দুই দিক সেঁকে নিন, ঢেকে রাখলে ভাপেও সেদ্ধ হয়ে যাবে।
# পাতার রং বদলাতে শুরু করলে এবং ঘ্রাণ বেরোলে বুঝবেন পাতুরি তৈরি।<span style=color:red;><center>'''গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন টক-ঝাল-মিষ্টি স্বাদের অনন্য মিশ্রণে ভরপুর ছানার পাতুরি'''</center></span>
==তথ্যসূত্র==
*[https://www.youtube.com/watch?v=9pH7Dpx_s_U নিরামিষের দিনে দারুণ খাবার /ছানার পাতুরি তৈরি করে নিন]
*[https://www.youtube.com/watch?v=_SGtqNXJ4Fs ছানার পাতুরি রান্নার রকমফের]
[[বিষয়শ্রেণী:রন্ধনপ্রণালী]]
mdi9kff8h7sg18eosp2czt1eqlpel6w
রন্ধনপ্রণালী:পানতোয়া
104
25805
84759
80518
2025-06-18T00:28:38Z
Mehedi Abedin
7113
84759
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = মিষ্টান্ন
| পরিবেশন = ৪–৫ জন
| তৈরির সময় = ১.৫ ঘণ্টা
| কষ্টসাধ্য = ৩
| খাদ্য শক্তি = উচ্চ
| টীকা = পানতোয়া একটি জনপ্রিয় বাংলা মিষ্টান্ন, যা গুলাব জামুন ও লালমোহনের মতো হলেও এর স্বাদ ও গঠন ভিন্নতর।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''পানতোয়া'''</big></center>
পানতোয়া একটি ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি, যা পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশ—উভয় বাংলার ঘরোয়া এবং মিষ্টির দোকানে সমানভাবে জনপ্রিয়। এটি মূলত ক্ষীর, ময়দা ও ছানার সংমিশ্রণে তৈরি নরম একটি বল যা ডুবো তেলে ভেজে সিরায় ডুবিয়ে পরিবেশন করা হয়। এর গঠন তুলনামূলকভাবে গুলাব জামুনের তুলনায় একটু বেশি শক্ত এবং এটি রঙে গাঢ় বাদামি হয়। পানতোয়া শব্দটি এসেছে 'পান' এবং 'তোয়া' থেকে, অর্থাৎ 'সিরায় ভেজানো'।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! উপাদান !! পরিমাণ
|-
| ছানা || ১ কাপ (তাজা)
|-
| ক্ষীর (গাঢ় দুধের জমানো অংশ) || ১/২ কাপ
|-
| ময়দা || ১/৪ কাপ
|-
| সুজি || ১ টেবিল চামচ (ভিজিয়ে নেওয়া)
|-
| বেকিং সোডা || ১ চিমটি
|-
| চিনি || ২ কাপ
|-
| পানি || ২ কাপ
|-
| এলাচ || ৩–৪টি
|-
| ঘি || ১ চা চামচ (মিশ্রণে)
|-
| তেল/ঘি || ভাজার জন্য
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# প্রথমে ছানা, ক্ষীর, ময়দা, সুজি, বেকিং সোডা ও সামান্য ঘি একত্রে ভালোভাবে মেখে নিন। মণ্ড যেন নরম ও মসৃণ হয়। প্রয়োজনে অল্প দুধ যোগ করা যেতে পারে।
# মণ্ডকে ঢেকে রেখে দিন ২০ মিনিট। এরপর ছোট ছোট বল আকারে গড়ে নিন। খেয়াল রাখতে হবে যেন ফাটল না থাকে।
# অন্যদিকে চুলায় চিনি ও পানি দিয়ে সিরা তৈরি করুন। ফুটে উঠলে এলাচ দিন এবং মাঝারি আঁচে ১০ মিনিট জ্বাল দিন। সিরা যেন পাতলা না হয়, আবার অতিরিক্ত ঘনও না হয়।
# কড়াইয়ে তেল গরম করে পানতোয়া গুলো হালকা আঁচে ধীরে ধীরে ভাজুন যাতে বাইরের অংশ না পুড়ে যায়। গভীর বাদামি রঙ হলে তুলে নিন।
# ভাজা গরম অবস্থায় সিরায় ডুবিয়ে রাখুন অন্তত ১ ঘণ্টা। পানতোয়া সিরা টেনে নরম ও রসালো হয়ে উঠবে।
== পরিবেশন ==
পানতোয়া সাধারণত ঠান্ডা অবস্থায় পরিবেশিত হয়, তবে গরম গরমও খাওয়া যায়। বিশেষ করে উৎসব বা অতিথি আপ্যায়নে এটি খুবই উপযুক্ত একটি মিষ্টান্ন।
== টিপস ও পরামর্শ ==
* পানতোয়া ভাজার সময় আঁচ খুব বেশি হলে বাইরের অংশ পুড়ে যাবে এবং ভেতর কাঁচা থেকে যাবে।
* সিরা তৈরির সময়ে সামান্য গোলাপ জল যোগ করলে ঘ্রাণে ভিন্নতা আসে।
* ছানাটা যেন বেশি শুকনো না হয়, তাহলে মণ্ড ফাটতে পারে।
== স্বাস্থ্য ও পুষ্টি তথ্য ==
এই মিষ্টিতে উচ্চমাত্রার চিনি ও চর্বি থাকায় এটি শক্তি প্রদানকারী হলেও ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপযুক্ত নয়। তবে ক্ষীর ও ছানা থাকায় এতে ক্যালসিয়াম ও প্রোটিন রয়েছে, যা হাড়ের জন্য উপকারী। মাঝেমধ্যে সীমিত পরিমাণে খেলে শরীরে তাপশক্তি বৃদ্ধি করে।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:বাংলাদেশি মিষ্টান্ন]]
[[Category:পশ্চিমবঙ্গের রান্না]]
[[Category:মিষ্টি পিঠা]]
skd4ybuylvmrk1g2d5s3j37ob94zmzc
84760
84759
2025-06-18T00:28:47Z
Mehedi Abedin
7113
84760
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = মিষ্টান্ন
| পরিবেশন = ৪–৫ জন
| তৈরির সময় = ১.৫ ঘণ্টা
| কষ্টসাধ্য = ৩
| খাদ্য শক্তি = উচ্চ
| টীকা = পানতোয়া একটি জনপ্রিয় বাংলা মিষ্টান্ন, যা গুলাব জামুন ও লালমোহনের মতো হলেও এর স্বাদ ও গঠন ভিন্নতর।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''পানতোয়া'''</big></center>
পানতোয়া একটি ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি, যা পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশ—উভয় বাংলার ঘরোয়া এবং মিষ্টির দোকানে সমানভাবে জনপ্রিয়। এটি মূলত ক্ষীর, ময়দা ও ছানার সংমিশ্রণে তৈরি নরম একটি বল যা ডুবো তেলে ভেজে সিরায় ডুবিয়ে পরিবেশন করা হয়। এর গঠন তুলনামূলকভাবে গুলাব জামুনের তুলনায় একটু বেশি শক্ত এবং এটি রঙে গাঢ় বাদামি হয়। পানতোয়া শব্দটি এসেছে 'পান' এবং 'তোয়া' থেকে, অর্থাৎ 'সিরায় ভেজানো'।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! উপাদান !! পরিমাণ
|-
| ছানা || ১ কাপ (তাজা)
|-
| ক্ষীর (গাঢ় দুধের জমানো অংশ) || ১/২ কাপ
|-
| ময়দা || ১/৪ কাপ
|-
| সুজি || ১ টেবিল চামচ (ভিজিয়ে নেওয়া)
|-
| বেকিং সোডা || ১ চিমটি
|-
| চিনি || ২ কাপ
|-
| পানি || ২ কাপ
|-
| এলাচ || ৩–৪টি
|-
| ঘি || ১ চা চামচ (মিশ্রণে)
|-
| তেল/ঘি || ভাজার জন্য
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# প্রথমে ছানা, ক্ষীর, ময়দা, সুজি, বেকিং সোডা ও সামান্য ঘি একত্রে ভালোভাবে মেখে নিন। মণ্ড যেন নরম ও মসৃণ হয়। প্রয়োজনে অল্প দুধ যোগ করা যেতে পারে।
# মণ্ডকে ঢেকে রেখে দিন ২০ মিনিট। এরপর ছোট ছোট বল আকারে গড়ে নিন। খেয়াল রাখতে হবে যেন ফাটল না থাকে।
# অন্যদিকে চুলায় চিনি ও পানি দিয়ে সিরা তৈরি করুন। ফুটে উঠলে এলাচ দিন এবং মাঝারি আঁচে ১০ মিনিট জ্বাল দিন। সিরা যেন পাতলা না হয়, আবার অতিরিক্ত ঘনও না হয়।
# কড়াইয়ে তেল গরম করে পানতোয়া গুলো হালকা আঁচে ধীরে ধীরে ভাজুন যাতে বাইরের অংশ না পুড়ে যায়। গভীর বাদামি রঙ হলে তুলে নিন।
# ভাজা গরম অবস্থায় সিরায় ডুবিয়ে রাখুন অন্তত ১ ঘণ্টা। পানতোয়া সিরা টেনে নরম ও রসালো হয়ে উঠবে।
== পরিবেশন ==
পানতোয়া সাধারণত ঠান্ডা অবস্থায় পরিবেশিত হয়, তবে গরম গরমও খাওয়া যায়। বিশেষ করে উৎসব বা অতিথি আপ্যায়নে এটি খুবই উপযুক্ত একটি মিষ্টান্ন।
== টিপস ও পরামর্শ ==
* পানতোয়া ভাজার সময় আঁচ খুব বেশি হলে বাইরের অংশ পুড়ে যাবে এবং ভেতর কাঁচা থেকে যাবে।
* সিরা তৈরির সময়ে সামান্য গোলাপ জল যোগ করলে ঘ্রাণে ভিন্নতা আসে।
* ছানাটা যেন বেশি শুকনো না হয়, তাহলে মণ্ড ফাটতে পারে।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:বাংলাদেশি মিষ্টান্ন]]
[[Category:পশ্চিমবঙ্গের রান্না]]
[[Category:মিষ্টি পিঠা]]
5pbduzk09wnlo3ucoapsm5ktpba5zxg
84761
84760
2025-06-18T00:28:55Z
Mehedi Abedin
7113
84761
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = মিষ্টান্ন
| পরিবেশন = ৪–৫ জন
| তৈরির সময় = ১.৫ ঘণ্টা
| কষ্টসাধ্য = ৩
| খাদ্য শক্তি = উচ্চ
| টীকা = পানতোয়া একটি জনপ্রিয় বাংলা মিষ্টান্ন, যা গুলাব জামুন ও লালমোহনের মতো হলেও এর স্বাদ ও গঠন ভিন্নতর।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''পানতোয়া'''</big></center>
পানতোয়া একটি ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি, যা পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশ—উভয় বাংলার ঘরোয়া এবং মিষ্টির দোকানে সমানভাবে জনপ্রিয়। এটি মূলত ক্ষীর, ময়দা ও ছানার সংমিশ্রণে তৈরি নরম একটি বল যা ডুবো তেলে ভেজে সিরায় ডুবিয়ে পরিবেশন করা হয়। এর গঠন তুলনামূলকভাবে গুলাব জামুনের তুলনায় একটু বেশি শক্ত এবং এটি রঙে গাঢ় বাদামি হয়। পানতোয়া শব্দটি এসেছে 'পান' এবং 'তোয়া' থেকে, অর্থাৎ 'সিরায় ভেজানো'।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! উপাদান !! পরিমাণ
|-
| ছানা || ১ কাপ (তাজা)
|-
| ক্ষীর (গাঢ় দুধের জমানো অংশ) || ১/২ কাপ
|-
| ময়দা || ১/৪ কাপ
|-
| সুজি || ১ টেবিল চামচ (ভিজিয়ে নেওয়া)
|-
| বেকিং সোডা || ১ চিমটি
|-
| চিনি || ২ কাপ
|-
| পানি || ২ কাপ
|-
| এলাচ || ৩–৪টি
|-
| ঘি || ১ চা চামচ (মিশ্রণে)
|-
| তেল/ঘি || ভাজার জন্য
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# প্রথমে ছানা, ক্ষীর, ময়দা, সুজি, বেকিং সোডা ও সামান্য ঘি একত্রে ভালোভাবে মেখে নিন। মণ্ড যেন নরম ও মসৃণ হয়। প্রয়োজনে অল্প দুধ যোগ করা যেতে পারে।
# মণ্ডকে ঢেকে রেখে দিন ২০ মিনিট। এরপর ছোট ছোট বল আকারে গড়ে নিন। খেয়াল রাখতে হবে যেন ফাটল না থাকে।
# অন্যদিকে চুলায় চিনি ও পানি দিয়ে সিরা তৈরি করুন। ফুটে উঠলে এলাচ দিন এবং মাঝারি আঁচে ১০ মিনিট জ্বাল দিন। সিরা যেন পাতলা না হয়, আবার অতিরিক্ত ঘনও না হয়।
# কড়াইয়ে তেল গরম করে পানতোয়া গুলো হালকা আঁচে ধীরে ধীরে ভাজুন যাতে বাইরের অংশ না পুড়ে যায়। গভীর বাদামি রঙ হলে তুলে নিন।
# ভাজা গরম অবস্থায় সিরায় ডুবিয়ে রাখুন অন্তত ১ ঘণ্টা। পানতোয়া সিরা টেনে নরম ও রসালো হয়ে উঠবে।
== পরিবেশন ==
পানতোয়া সাধারণত ঠান্ডা অবস্থায় পরিবেশিত হয়, তবে গরম গরমও খাওয়া যায়। বিশেষ করে উৎসব বা অতিথি আপ্যায়নে এটি খুবই উপযুক্ত একটি মিষ্টান্ন।
== পরামর্শ ==
* পানতোয়া ভাজার সময় আঁচ খুব বেশি হলে বাইরের অংশ পুড়ে যাবে এবং ভেতর কাঁচা থেকে যাবে।
* সিরা তৈরির সময়ে সামান্য গোলাপ জল যোগ করলে ঘ্রাণে ভিন্নতা আসে।
* ছানাটা যেন বেশি শুকনো না হয়, তাহলে মণ্ড ফাটতে পারে।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:বাংলাদেশি মিষ্টান্ন]]
[[Category:পশ্চিমবঙ্গের রান্না]]
[[Category:মিষ্টি পিঠা]]
sj51ri47jxnqfebl8d2bupskfvdyqt1
84762
84761
2025-06-18T00:29:36Z
Mehedi Abedin
7113
84762
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = মিষ্টান্ন
| পরিবেশন = ৪–৫ জন
| তৈরির সময় = ১.৫ ঘণ্টা
| কষ্টসাধ্য = ৩
| খাদ্য শক্তি = উচ্চ
| টীকা = পানতোয়া একটি জনপ্রিয় বাংলা মিষ্টান্ন, যা গুলাব জামুন ও লালমোহনের মতো হলেও এর স্বাদ ও গঠন ভিন্নতর।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''পানতোয়া'''</big></center>
পানতোয়া একটি ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি, যা পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশ—উভয় বাংলার ঘরোয়া এবং মিষ্টির দোকানে সমানভাবে জনপ্রিয়। এটি মূলত ক্ষীর, ময়দা ও ছানার সংমিশ্রণে তৈরি নরম একটি বল যা ডুবো তেলে ভেজে সিরায় ডুবিয়ে পরিবেশন করা হয়। এর গঠন তুলনামূলকভাবে গুলাব জামুনের তুলনায় একটু বেশি শক্ত এবং এটি রঙে গাঢ় বাদামি হয়। পানতোয়া শব্দটি এসেছে 'পান' এবং 'তোয়া' থেকে, অর্থাৎ 'সিরায় ভেজানো'।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! উপাদান !! পরিমাণ
|-
| ছানা || ১ কাপ (তাজা)
|-
| ক্ষীর (গাঢ় দুধের জমানো অংশ) || ১/২ কাপ
|-
| ময়দা || ১/৪ কাপ
|-
| সুজি || ১ টেবিল চামচ (ভিজিয়ে নেওয়া)
|-
| বেকিং সোডা || ১ চিমটি
|-
| চিনি || ২ কাপ
|-
| পানি || ২ কাপ
|-
| এলাচ || ৩–৪টি
|-
| ঘি || ১ চা চামচ (মিশ্রণে)
|-
| তেল/ঘি || ভাজার জন্য
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# প্রথমে ছানা, ক্ষীর, ময়দা, সুজি, বেকিং সোডা ও সামান্য ঘি একত্রে ভালোভাবে মেখে নিন। মণ্ড যেন নরম ও মসৃণ হয়। প্রয়োজনে অল্প দুধ যোগ করা যেতে পারে।
# মণ্ডকে ঢেকে রেখে দিন ২০ মিনিট। এরপর ছোট ছোট বল আকারে গড়ে নিন। খেয়াল রাখতে হবে যেন ফাটল না থাকে।
# অন্যদিকে চুলায় চিনি ও পানি দিয়ে সিরা তৈরি করুন। ফুটে উঠলে এলাচ দিন এবং মাঝারি আঁচে ১০ মিনিট জ্বাল দিন। সিরা যেন পাতলা না হয়, আবার অতিরিক্ত ঘনও না হয়।
# কড়াইয়ে তেল গরম করে পানতোয়া গুলো হালকা আঁচে ধীরে ধীরে ভাজুন যাতে বাইরের অংশ না পুড়ে যায়। গভীর বাদামি রঙ হলে তুলে নিন।
# ভাজা গরম অবস্থায় সিরায় ডুবিয়ে রাখুন অন্তত ১ ঘণ্টা। পানতোয়া সিরা টেনে নরম ও রসালো হয়ে উঠবে।
<span style=color:red;><center>'''ঠান্ডা অবস্থায় পরিবেশন করুন।'''</center></span>
== পরামর্শ ==
* পানতোয়া ভাজার সময় আঁচ খুব বেশি হলে বাইরের অংশ পুড়ে যাবে এবং ভেতর কাঁচা থেকে যাবে।
* সিরা তৈরির সময়ে সামান্য গোলাপ জল যোগ করলে ঘ্রাণে ভিন্নতা আসে।
* ছানাটা যেন বেশি শুকনো না হয়, তাহলে মণ্ড ফাটতে পারে।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:বাংলাদেশি মিষ্টান্ন]]
[[Category:পশ্চিমবঙ্গের রান্না]]
[[Category:মিষ্টি পিঠা]]
q6q8klopdr37769rldjgyn64c09oexm
84763
84762
2025-06-18T00:29:56Z
Mehedi Abedin
7113
84763
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = মিষ্টান্ন
| পরিবেশন = ৪–৫ জন
| তৈরির সময় = ১.৫ ঘণ্টা
| কষ্টসাধ্য = ৩
| খাদ্য শক্তি = উচ্চ
| টীকা = জনপ্রিয় বাংলা মিষ্টান্ন, যা গুলাব জামুন ও লালমোহনের মতো হলেও এর স্বাদ ও গঠন ভিন্নতর।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''পানতোয়া'''</big></center>
পানতোয়া একটি ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি, যা পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশ—উভয় বাংলার ঘরোয়া এবং মিষ্টির দোকানে সমানভাবে জনপ্রিয়। এটি মূলত ক্ষীর, ময়দা ও ছানার সংমিশ্রণে তৈরি নরম একটি বল যা ডুবো তেলে ভেজে সিরায় ডুবিয়ে পরিবেশন করা হয়। এর গঠন তুলনামূলকভাবে গুলাব জামুনের তুলনায় একটু বেশি শক্ত এবং এটি রঙে গাঢ় বাদামি হয়। পানতোয়া শব্দটি এসেছে 'পান' এবং 'তোয়া' থেকে, অর্থাৎ 'সিরায় ভেজানো'।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! উপাদান !! পরিমাণ
|-
| ছানা || ১ কাপ (তাজা)
|-
| ক্ষীর (গাঢ় দুধের জমানো অংশ) || ১/২ কাপ
|-
| ময়দা || ১/৪ কাপ
|-
| সুজি || ১ টেবিল চামচ (ভিজিয়ে নেওয়া)
|-
| বেকিং সোডা || ১ চিমটি
|-
| চিনি || ২ কাপ
|-
| পানি || ২ কাপ
|-
| এলাচ || ৩–৪টি
|-
| ঘি || ১ চা চামচ (মিশ্রণে)
|-
| তেল/ঘি || ভাজার জন্য
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# প্রথমে ছানা, ক্ষীর, ময়দা, সুজি, বেকিং সোডা ও সামান্য ঘি একত্রে ভালোভাবে মেখে নিন। মণ্ড যেন নরম ও মসৃণ হয়। প্রয়োজনে অল্প দুধ যোগ করা যেতে পারে।
# মণ্ডকে ঢেকে রেখে দিন ২০ মিনিট। এরপর ছোট ছোট বল আকারে গড়ে নিন। খেয়াল রাখতে হবে যেন ফাটল না থাকে।
# অন্যদিকে চুলায় চিনি ও পানি দিয়ে সিরা তৈরি করুন। ফুটে উঠলে এলাচ দিন এবং মাঝারি আঁচে ১০ মিনিট জ্বাল দিন। সিরা যেন পাতলা না হয়, আবার অতিরিক্ত ঘনও না হয়।
# কড়াইয়ে তেল গরম করে পানতোয়া গুলো হালকা আঁচে ধীরে ধীরে ভাজুন যাতে বাইরের অংশ না পুড়ে যায়। গভীর বাদামি রঙ হলে তুলে নিন।
# ভাজা গরম অবস্থায় সিরায় ডুবিয়ে রাখুন অন্তত ১ ঘণ্টা। পানতোয়া সিরা টেনে নরম ও রসালো হয়ে উঠবে।
<span style=color:red;><center>'''ঠান্ডা অবস্থায় পরিবেশন করুন।'''</center></span>
== পরামর্শ ==
* পানতোয়া ভাজার সময় আঁচ খুব বেশি হলে বাইরের অংশ পুড়ে যাবে এবং ভেতর কাঁচা থেকে যাবে।
* সিরা তৈরির সময়ে সামান্য গোলাপ জল যোগ করলে ঘ্রাণে ভিন্নতা আসে।
* ছানাটা যেন বেশি শুকনো না হয়, তাহলে মণ্ড ফাটতে পারে।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:বাংলাদেশি মিষ্টান্ন]]
[[Category:পশ্চিমবঙ্গের রান্না]]
[[Category:মিষ্টি পিঠা]]
4nzpnxcwcd9og0udgj6xb6h7qz50eqs
রন্ধনপ্রণালী:বড়া খিচুড়ি
104
25806
84764
80522
2025-06-18T00:31:43Z
Mehedi Abedin
7113
84764
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = প্রধান খাবার
| পরিবেশন = ৫–৬ জন
| তৈরির সময় = ২ ঘণ্টা
| কষ্টসাধ্য = ৪
| খাদ্য শক্তি = উচ্চ
| টীকা = বড়া খিচুড়ি একটি ব্যতিক্রমধর্মী খাবার যেখানে খিচুড়ির সঙ্গে ডালের বড়া মিশে এক অপূর্ব গ্রামীণ স্বাদ সৃষ্টি করে।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''বড়া খিচুড়ি'''</big></center>
বড়া খিচুড়ি একটি বহু পুরনো গ্রামীণ রান্না, বিশেষত বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও বিহারের কিছু অঞ্চলে প্রচলিত। এটি তৈরি হয় সুগন্ধি চাল, নানা ধরণের ডাল, মশলা এবং হালকা ভাজা ডালের বড়া দিয়ে, যা মুখে দিলেই গলে যায়। এটি মূলত উৎসব বা বিশেষ দিনেই রান্না হয়, কিন্তু ঠান্ডা দিনে দুপুরবেলার ভারী খাবার হিসেবেও অনবদ্য।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! উপাদান !! পরিমাণ
|-
| বাসমতি বা আতপ চাল || ১ কাপ
|-
| মুগ ডাল || ১/২ কাপ (ভেজে নেওয়া)
|-
| পেঁয়াজ কুচি || ১ কাপ
|-
| রসুন বাটা || ১ চা চামচ
|-
| আদা বাটা || ১ চা চামচ
|-
| শুকনো মরিচ গুঁড়া || ১ চা চামচ
|-
| হলুদ গুঁড়া || ১/২ চা চামচ
|-
| গরম মসলা গুঁড়া || ১/২ চা চামচ
|-
| লবণ || স্বাদমতো
|-
| সরিষার তেল || ৪–৫ টেবিল চামচ
|-
| তেজপাতা, দারুচিনি, এলাচ || পরিমাণমতো (খুশবু ও স্বাদের জন্য)
|-
| ডালের বড়া তৈরির জন্য:
|-
| মসুর ডাল || ১ কাপ (৮ ঘণ্টা ভিজানো)
|-
| কাঁচা মরিচ, পেঁয়াজ, ধনে পাতা || কুচানো
|-
| লবণ ও সামান্য চালের গুঁড়া || পরিমাণমতো
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# প্রথমে মসুর ডাল ধুয়ে ৮ ঘণ্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। এরপর পানি ঝরিয়ে ডাল বাটুন। বেশি পানি দেবেন না।
# বাটানো ডালে কুচানো পেঁয়াজ, কাঁচা মরিচ, ধনে পাতা, লবণ ও সামান্য চালের গুঁড়া মিশিয়ে মসৃণ মিশ্রণ তৈরি করুন। ছোট ছোট গোল বড়া তৈরি করে হালকা তেলে ভেজে নিন।
# এবার চাল ও মুগ ডাল ধুয়ে এক ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন।
# একটি পাত্রে সরিষার তেল গরম করে তাতে তেজপাতা, দারুচিনি, এলাচ দিয়ে ফোড়ন দিন। এরপর পেঁয়াজ কুচি দিয়ে বাদামি করে ভেজে আদা-রসুন বাটা দিন।
# মসলা কষিয়ে তাতে শুকনো মরিচ, হলুদ ও লবণ দিন। অল্প পানি দিয়ে মসলা ভালোভাবে কষান।
# চাল ও ডাল দিয়ে মসলা ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। তাতে ৩ কাপ গরম পানি দিন। ঢাকা দিয়ে রান্না করুন যতক্ষণ না চাল-ডাল সেদ্ধ হয়।
# খিচুড়ি হয়ে এলে উপর থেকে ভাজা বড়াগুলো ছড়িয়ে দিন এবং ঢেকে রেখে কিছুক্ষণ দম দিন। বড়াগুলো খিচুড়ির গন্ধে ও বাষ্পে আরও নরম ও সুস্বাদু হয়ে উঠবে।
== পরিবেশন ==
গরম বড়া খিচুড়ি পরিবেশন করুন টক দই, বেগুন ভাজা বা আম-তেলের আচার দিয়ে। চাইলে সাথে ঘি ছড়িয়ে পরিবেশন করতে পারেন, যা স্বাদে আনে রাজকীয়তা।
== পরামর্শ ==
* বড়া ভাজার সময় খুব বেশি তেলে না ভাজলে স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।
* বড়াগুলো যদি খিচুড়ির মধ্যে রান্না শেষে মেশান, তবে ভেতরটা কিছুটা মচমচে থাকবে, আর আগে মেশালে নরম হবে—আপনার পছন্দ অনুযায়ী সময় ঠিক করুন।
* চালের পরিমাণ বাড়ালে পানি অনুপাতে বাড়াতে ভুলবেন না।
== স্বাস্থ্য উপকারিতা ও ঝুঁকি ==
এই রেসিপিতে ব্যবহৃত ডাল, বিশেষত মসুর ও মুগ ডাল, প্রোটিনের ভালো উৎস। তাছাড়া চাল ও ডাল একসঙ্গে খেলে দেহে পূর্ণ প্রোটিন গঠনে সহায়তা করে। পেঁয়াজ ও রসুন শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। তবে এই পদে ভাজা বড়া ব্যবহার হওয়ায় এটি তুলনামূলক ক্যালরিযুক্ত, তাই যারা ওজন বা কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান, তারা পরিমাণ বুঝে গ্রহণ করুন।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:বাংলাদেশি প্রধান খাবার]]
[[Category:ঐতিহ্যবাহী খাবার]]
[[Category:ডাল-চাল পদ]]
obdsnrwhwws0dwcc4ezkihus3wy6ecc
84765
84764
2025-06-18T00:31:52Z
Mehedi Abedin
7113
84765
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = প্রধান খাবার
| পরিবেশন = ৫–৬ জন
| তৈরির সময় = ২ ঘণ্টা
| কষ্টসাধ্য = ৪
| খাদ্য শক্তি = উচ্চ
| টীকা = বড়া খিচুড়ি একটি ব্যতিক্রমধর্মী খাবার যেখানে খিচুড়ির সঙ্গে ডালের বড়া মিশে এক অপূর্ব গ্রামীণ স্বাদ সৃষ্টি করে।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''বড়া খিচুড়ি'''</big></center>
বড়া খিচুড়ি একটি বহু পুরনো গ্রামীণ রান্না, বিশেষত বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও বিহারের কিছু অঞ্চলে প্রচলিত। এটি তৈরি হয় সুগন্ধি চাল, নানা ধরণের ডাল, মশলা এবং হালকা ভাজা ডালের বড়া দিয়ে, যা মুখে দিলেই গলে যায়। এটি মূলত উৎসব বা বিশেষ দিনেই রান্না হয়, কিন্তু ঠান্ডা দিনে দুপুরবেলার ভারী খাবার হিসেবেও অনবদ্য।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! উপাদান !! পরিমাণ
|-
| বাসমতি বা আতপ চাল || ১ কাপ
|-
| মুগ ডাল || ১/২ কাপ (ভেজে নেওয়া)
|-
| পেঁয়াজ কুচি || ১ কাপ
|-
| রসুন বাটা || ১ চা চামচ
|-
| আদা বাটা || ১ চা চামচ
|-
| শুকনো মরিচ গুঁড়া || ১ চা চামচ
|-
| হলুদ গুঁড়া || ১/২ চা চামচ
|-
| গরম মসলা গুঁড়া || ১/২ চা চামচ
|-
| লবণ || স্বাদমতো
|-
| সরিষার তেল || ৪–৫ টেবিল চামচ
|-
| তেজপাতা, দারুচিনি, এলাচ || পরিমাণমতো (খুশবু ও স্বাদের জন্য)
|-
| ডালের বড়া তৈরির জন্য:
|-
| মসুর ডাল || ১ কাপ (৮ ঘণ্টা ভিজানো)
|-
| কাঁচা মরিচ, পেঁয়াজ, ধনে পাতা || কুচানো
|-
| লবণ ও সামান্য চালের গুঁড়া || পরিমাণমতো
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# প্রথমে মসুর ডাল ধুয়ে ৮ ঘণ্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। এরপর পানি ঝরিয়ে ডাল বাটুন। বেশি পানি দেবেন না।
# বাটানো ডালে কুচানো পেঁয়াজ, কাঁচা মরিচ, ধনে পাতা, লবণ ও সামান্য চালের গুঁড়া মিশিয়ে মসৃণ মিশ্রণ তৈরি করুন। ছোট ছোট গোল বড়া তৈরি করে হালকা তেলে ভেজে নিন।
# এবার চাল ও মুগ ডাল ধুয়ে এক ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন।
# একটি পাত্রে সরিষার তেল গরম করে তাতে তেজপাতা, দারুচিনি, এলাচ দিয়ে ফোড়ন দিন। এরপর পেঁয়াজ কুচি দিয়ে বাদামি করে ভেজে আদা-রসুন বাটা দিন।
# মসলা কষিয়ে তাতে শুকনো মরিচ, হলুদ ও লবণ দিন। অল্প পানি দিয়ে মসলা ভালোভাবে কষান।
# চাল ও ডাল দিয়ে মসলা ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। তাতে ৩ কাপ গরম পানি দিন। ঢাকা দিয়ে রান্না করুন যতক্ষণ না চাল-ডাল সেদ্ধ হয়।
# খিচুড়ি হয়ে এলে উপর থেকে ভাজা বড়াগুলো ছড়িয়ে দিন এবং ঢেকে রেখে কিছুক্ষণ দম দিন। বড়াগুলো খিচুড়ির গন্ধে ও বাষ্পে আরও নরম ও সুস্বাদু হয়ে উঠবে।
== পরিবেশন ==
গরম বড়া খিচুড়ি পরিবেশন করুন টক দই, বেগুন ভাজা বা আম-তেলের আচার দিয়ে। চাইলে সাথে ঘি ছড়িয়ে পরিবেশন করতে পারেন, যা স্বাদে আনে রাজকীয়তা।
== পরামর্শ ==
* বড়া ভাজার সময় খুব বেশি তেলে না ভাজলে স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।
* বড়াগুলো যদি খিচুড়ির মধ্যে রান্না শেষে মেশান, তবে ভেতরটা কিছুটা মচমচে থাকবে, আর আগে মেশালে নরম হবে—আপনার পছন্দ অনুযায়ী সময় ঠিক করুন।
* চালের পরিমাণ বাড়ালে পানি অনুপাতে বাড়াতে ভুলবেন না।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:বাংলাদেশি প্রধান খাবার]]
[[Category:ঐতিহ্যবাহী খাবার]]
[[Category:ডাল-চাল পদ]]
bil3gbvyg2umfduuboh3cn25l6g0pkh
84766
84765
2025-06-18T00:32:13Z
Mehedi Abedin
7113
84766
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = প্রধান খাবার
| পরিবেশন = ৫–৬ জন
| তৈরির সময় = ২ ঘণ্টা
| কষ্টসাধ্য = ৪
| খাদ্য শক্তি = উচ্চ
| টীকা = বড়া খিচুড়ি একটি ব্যতিক্রমধর্মী খাবার যেখানে খিচুড়ির সঙ্গে ডালের বড়া মিশে এক অপূর্ব গ্রামীণ স্বাদ সৃষ্টি করে।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''বড়া খিচুড়ি'''</big></center>
বড়া খিচুড়ি একটি বহু পুরনো গ্রামীণ রান্না, বিশেষত বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও বিহারের কিছু অঞ্চলে প্রচলিত। এটি তৈরি হয় সুগন্ধি চাল, নানা ধরণের ডাল, মশলা এবং হালকা ভাজা ডালের বড়া দিয়ে, যা মুখে দিলেই গলে যায়। এটি মূলত উৎসব বা বিশেষ দিনেই রান্না হয়, কিন্তু ঠান্ডা দিনে দুপুরবেলার ভারী খাবার হিসেবেও অনবদ্য।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! উপাদান !! পরিমাণ
|-
| বাসমতি বা আতপ চাল || ১ কাপ
|-
| মুগ ডাল || ১/২ কাপ (ভেজে নেওয়া)
|-
| পেঁয়াজ কুচি || ১ কাপ
|-
| রসুন বাটা || ১ চা চামচ
|-
| আদা বাটা || ১ চা চামচ
|-
| শুকনো মরিচ গুঁড়া || ১ চা চামচ
|-
| হলুদ গুঁড়া || ১/২ চা চামচ
|-
| গরম মসলা গুঁড়া || ১/২ চা চামচ
|-
| লবণ || স্বাদমতো
|-
| সরিষার তেল || ৪–৫ টেবিল চামচ
|-
| তেজপাতা, দারুচিনি, এলাচ || পরিমাণমতো (খুশবু ও স্বাদের জন্য)
|-
| ডালের বড়া তৈরির জন্য:
|-
| মসুর ডাল || ১ কাপ (৮ ঘণ্টা ভিজানো)
|-
| কাঁচা মরিচ, পেঁয়াজ, ধনে পাতা || কুচানো
|-
| লবণ ও সামান্য চালের গুঁড়া || পরিমাণমতো
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# প্রথমে মসুর ডাল ধুয়ে ৮ ঘণ্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। এরপর পানি ঝরিয়ে ডাল বাটুন। বেশি পানি দেবেন না।
# বাটানো ডালে কুচানো পেঁয়াজ, কাঁচা মরিচ, ধনে পাতা, লবণ ও সামান্য চালের গুঁড়া মিশিয়ে মসৃণ মিশ্রণ তৈরি করুন। ছোট ছোট গোল বড়া তৈরি করে হালকা তেলে ভেজে নিন।
# এবার চাল ও মুগ ডাল ধুয়ে এক ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন।
# একটি পাত্রে সরিষার তেল গরম করে তাতে তেজপাতা, দারুচিনি, এলাচ দিয়ে ফোড়ন দিন। এরপর পেঁয়াজ কুচি দিয়ে বাদামি করে ভেজে আদা-রসুন বাটা দিন।
# মসলা কষিয়ে তাতে শুকনো মরিচ, হলুদ ও লবণ দিন। অল্প পানি দিয়ে মসলা ভালোভাবে কষান।
# চাল ও ডাল দিয়ে মসলা ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। তাতে ৩ কাপ গরম পানি দিন। ঢাকা দিয়ে রান্না করুন যতক্ষণ না চাল-ডাল সেদ্ধ হয়।
# খিচুড়ি হয়ে এলে উপর থেকে ভাজা বড়াগুলো ছড়িয়ে দিন এবং ঢেকে রেখে কিছুক্ষণ দম দিন। বড়াগুলো খিচুড়ির গন্ধে ও বাষ্পে আরও নরম ও সুস্বাদু হয়ে উঠবে।
<span style=color:red;><center>'''পরিবেশন করুন টক দই, বেগুন ভাজা বা আম-তেলের আচার দিয়ে।'''</center></span>
== পরামর্শ ==
* বড়া ভাজার সময় খুব বেশি তেলে না ভাজলে স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।
* বড়াগুলো যদি খিচুড়ির মধ্যে রান্না শেষে মেশান, তবে ভেতরটা কিছুটা মচমচে থাকবে, আর আগে মেশালে নরম হবে—আপনার পছন্দ অনুযায়ী সময় ঠিক করুন।
* চালের পরিমাণ বাড়ালে পানি অনুপাতে বাড়াতে ভুলবেন না।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:বাংলাদেশি প্রধান খাবার]]
[[Category:ঐতিহ্যবাহী খাবার]]
[[Category:ডাল-চাল পদ]]
nfml4bwg1s6lc4y2vw63qtcrpxxxdl7
84767
84766
2025-06-18T00:32:47Z
Mehedi Abedin
7113
84767
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = প্রধান খাবার
| পরিবেশন = ৫–৬ জন
| তৈরির সময় = ২ ঘণ্টা
| কষ্টসাধ্য = ৪
| খাদ্য শক্তি = উচ্চ
| টীকা = ব্যতিক্রমধর্মী খাবার যেখানে খিচুড়ির সঙ্গে ডালের বড়া মিশে এক অপূর্ব গ্রামীণ স্বাদ সৃষ্টি করে।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''বড়া খিচুড়ি'''</big></center>
বড়া খিচুড়ি একটি বহু পুরনো গ্রামীণ রান্না, বিশেষত বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও বিহারের কিছু অঞ্চলে প্রচলিত। এটি তৈরি হয় সুগন্ধি চাল, নানা ধরণের ডাল, মশলা এবং হালকা ভাজা ডালের বড়া দিয়ে, যা মুখে দিলেই গলে যায়। এটি মূলত উৎসব বা বিশেষ দিনেই রান্না হয়, কিন্তু ঠান্ডা দিনে দুপুরবেলার ভারী খাবার হিসেবেও অনবদ্য।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! উপাদান !! পরিমাণ
|-
| বাসমতি বা আতপ চাল || ১ কাপ
|-
| মুগ ডাল || ১/২ কাপ (ভেজে নেওয়া)
|-
| পেঁয়াজ কুচি || ১ কাপ
|-
| রসুন বাটা || ১ চা চামচ
|-
| আদা বাটা || ১ চা চামচ
|-
| শুকনো মরিচ গুঁড়া || ১ চা চামচ
|-
| হলুদ গুঁড়া || ১/২ চা চামচ
|-
| গরম মসলা গুঁড়া || ১/২ চা চামচ
|-
| লবণ || স্বাদমতো
|-
| সরিষার তেল || ৪–৫ টেবিল চামচ
|-
| তেজপাতা, দারুচিনি, এলাচ || পরিমাণমতো (খুশবু ও স্বাদের জন্য)
|-
| ডালের বড়া তৈরির জন্য:
|-
| মসুর ডাল || ১ কাপ (৮ ঘণ্টা ভিজানো)
|-
| কাঁচা মরিচ, পেঁয়াজ, ধনে পাতা || কুচানো
|-
| লবণ ও সামান্য চালের গুঁড়া || পরিমাণমতো
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# প্রথমে মসুর ডাল ধুয়ে ৮ ঘণ্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। এরপর পানি ঝরিয়ে ডাল বাটুন। বেশি পানি দেবেন না।
# বাটানো ডালে কুচানো পেঁয়াজ, কাঁচা মরিচ, ধনে পাতা, লবণ ও সামান্য চালের গুঁড়া মিশিয়ে মসৃণ মিশ্রণ তৈরি করুন। ছোট ছোট গোল বড়া তৈরি করে হালকা তেলে ভেজে নিন।
# এবার চাল ও মুগ ডাল ধুয়ে এক ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন।
# একটি পাত্রে সরিষার তেল গরম করে তাতে তেজপাতা, দারুচিনি, এলাচ দিয়ে ফোড়ন দিন। এরপর পেঁয়াজ কুচি দিয়ে বাদামি করে ভেজে আদা-রসুন বাটা দিন।
# মসলা কষিয়ে তাতে শুকনো মরিচ, হলুদ ও লবণ দিন। অল্প পানি দিয়ে মসলা ভালোভাবে কষান।
# চাল ও ডাল দিয়ে মসলা ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। তাতে ৩ কাপ গরম পানি দিন। ঢাকা দিয়ে রান্না করুন যতক্ষণ না চাল-ডাল সেদ্ধ হয়।
# খিচুড়ি হয়ে এলে উপর থেকে ভাজা বড়াগুলো ছড়িয়ে দিন এবং ঢেকে রেখে কিছুক্ষণ দম দিন। বড়াগুলো খিচুড়ির গন্ধে ও বাষ্পে আরও নরম ও সুস্বাদু হয়ে উঠবে।
<span style=color:red;><center>'''পরিবেশন করুন টক দই, বেগুন ভাজা বা আম-তেলের আচার দিয়ে।'''</center></span>
== পরামর্শ ==
* বড়া ভাজার সময় খুব বেশি তেলে না ভাজলে স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।
* বড়াগুলো যদি খিচুড়ির মধ্যে রান্না শেষে মেশান, তবে ভেতরটা কিছুটা মচমচে থাকবে, আর আগে মেশালে নরম হবে—আপনার পছন্দ অনুযায়ী সময় ঠিক করুন।
* চালের পরিমাণ বাড়ালে পানি অনুপাতে বাড়াতে ভুলবেন না।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:বাংলাদেশি প্রধান খাবার]]
[[Category:ঐতিহ্যবাহী খাবার]]
[[Category:ডাল-চাল পদ]]
30pdoee6c99gos8z858yzdg4fiwg8jk
84768
84767
2025-06-18T00:33:54Z
Mehedi Abedin
7113
84768
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = প্রধান খাবার
| পরিবেশন = ৫–৬ জন
| তৈরির সময় = ২ ঘণ্টা
| কষ্টসাধ্য = ৪
| খাদ্য শক্তি = উচ্চ
| টীকা = ব্যতিক্রমধর্মী খাবার যেখানে খিচুড়ির সঙ্গে ডালের বড়া মিশে এক অপূর্ব গ্রামীণ স্বাদ সৃষ্টি করে।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''বড়া খিচুড়ি'''</big></center>
বড়া খিচুড়ি একটি বহু পুরনো গ্রামীণ রান্না, বিশেষত বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও বিহারের কিছু অঞ্চলে প্রচলিত। এটি তৈরি হয় সুগন্ধি চাল, নানা ধরণের ডাল, মশলা এবং হালকা ভাজা ডালের বড়া দিয়ে, যা মুখে দিলেই গলে যায়। এটি মূলত উৎসব বা বিশেষ দিনেই রান্না হয়, কিন্তু ঠান্ডা দিনে দুপুরবেলার ভারী খাবার হিসেবেও অনবদ্য।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! উপাদান !! পরিমাণ
|-
| বাসমতি বা আতপ চাল || ১ কাপ
|-
| মুগ ডাল || ১/২ কাপ (ভেজে নেওয়া)
|-
| পেঁয়াজ কুচি || ১ কাপ
|-
| রসুন বাটা || ১ চা চামচ
|-
| আদা বাটা || ১ চা চামচ
|-
| শুকনো মরিচ গুঁড়া || ১ চা চামচ
|-
| হলুদ গুঁড়া || ১/২ চা চামচ
|-
| গরম মসলা গুঁড়া || ১/২ চা চামচ
|-
| লবণ || স্বাদমতো
|-
| সরিষার তেল || ৪–৫ টেবিল চামচ
|-
| তেজপাতা, দারুচিনি, এলাচ || পরিমাণমতো (খুশবু ও স্বাদের জন্য)
|-
| ডালের বড়া তৈরির জন্য:
|-
| মসুর ডাল || ১ কাপ (৮ ঘণ্টা ভিজানো)
|-
| কাঁচা মরিচ, পেঁয়াজ, ধনে পাতা || কুচানো
|-
| লবণ ও সামান্য চালের গুঁড়া || পরিমাণমতো
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# প্রথমে মসুর ডাল ধুয়ে ৮ ঘণ্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। এরপর পানি ঝরিয়ে ডাল বাটুন। বেশি পানি দেবেন না।
# বাটানো ডালে কুচানো পেঁয়াজ, কাঁচা মরিচ, ধনে পাতা, লবণ ও সামান্য চালের গুঁড়া মিশিয়ে মসৃণ মিশ্রণ তৈরি করুন। ছোট ছোট গোল বড়া তৈরি করে হালকা তেলে ভেজে নিন।
# এবার চাল ও মুগ ডাল ধুয়ে এক ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন।
# একটি পাত্রে সরিষার তেল গরম করে তাতে তেজপাতা, দারুচিনি, এলাচ দিয়ে ফোড়ন দিন। এরপর পেঁয়াজ কুচি দিয়ে বাদামি করে ভেজে আদা-রসুন বাটা দিন।
# মসলা কষিয়ে তাতে শুকনো মরিচ, হলুদ ও লবণ দিন। অল্প পানি দিয়ে মসলা ভালোভাবে কষান।
# চাল ও ডাল দিয়ে মসলা ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। তাতে ৩ কাপ গরম পানি দিন। ঢাকা দিয়ে রান্না করুন যতক্ষণ না চাল-ডাল সেদ্ধ হয়।
# খিচুড়ি হয়ে এলে উপর থেকে ভাজা বড়াগুলো ছড়িয়ে দিন এবং ঢেকে রেখে কিছুক্ষণ দম দিন। বড়াগুলো খিচুড়ির গন্ধে ও বাষ্পে আরও নরম ও সুস্বাদু হয়ে উঠবে।
<span style=color:red;><center>'''পরিবেশন করুন টক দই, বেগুন ভাজা বা আম-তেলের আচার দিয়ে।'''</center></span>
== পরামর্শ ==
* বড়া ভাজার সময় খুব বেশি তেলে না ভাজলে স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।
* বড়াগুলো যদি খিচুড়ির মধ্যে রান্না শেষে মেশান, তবে ভেতরটা কিছুটা মচমচে থাকবে, আর আগে মেশালে নরম হবে—আপনার পছন্দ অনুযায়ী সময় ঠিক করুন।
* চালের পরিমাণ বাড়ালে পানি অনুপাতে বাড়াতে ভুলবেন না।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:বাংলাদেশী প্রধান খাবার]]
[[Category:ঐতিহ্যবাহী খাবার]]
[[Category:ডাল-চাল পদ]]
hzfbbvifuia3t9pf6aa8515trdkarlj
84769
84768
2025-06-18T00:34:20Z
Mehedi Abedin
7113
84769
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = প্রধান খাবার
| পরিবেশন = ৫–৬ জন
| তৈরির সময় = ২ ঘণ্টা
| কষ্টসাধ্য = ৪
| খাদ্য শক্তি = উচ্চ
| টীকা = ব্যতিক্রমধর্মী খাবার যেখানে খিচুড়ির সঙ্গে ডালের বড়া মিশে এক অপূর্ব গ্রামীণ স্বাদ সৃষ্টি করে।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''বড়া খিচুড়ি'''</big></center>
বড়া খিচুড়ি একটি বহু পুরনো গ্রামীণ রান্না, বিশেষত বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও বিহারের কিছু অঞ্চলে প্রচলিত। এটি তৈরি হয় সুগন্ধি চাল, নানা ধরণের ডাল, মশলা এবং হালকা ভাজা ডালের বড়া দিয়ে, যা মুখে দিলেই গলে যায়। এটি মূলত উৎসব বা বিশেষ দিনেই রান্না হয়, কিন্তু ঠান্ডা দিনে দুপুরবেলার ভারী খাবার হিসেবেও অনবদ্য।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! উপাদান !! পরিমাণ
|-
| বাসমতি বা আতপ চাল || ১ কাপ
|-
| মুগ ডাল || ১/২ কাপ (ভেজে নেওয়া)
|-
| পেঁয়াজ কুচি || ১ কাপ
|-
| রসুন বাটা || ১ চা চামচ
|-
| আদা বাটা || ১ চা চামচ
|-
| শুকনো মরিচ গুঁড়া || ১ চা চামচ
|-
| হলুদ গুঁড়া || ১/২ চা চামচ
|-
| গরম মসলা গুঁড়া || ১/২ চা চামচ
|-
| লবণ || স্বাদমতো
|-
| সরিষার তেল || ৪–৫ টেবিল চামচ
|-
| তেজপাতা, দারুচিনি, এলাচ || পরিমাণমতো (গন্ধ ও স্বাদের জন্য)
|-
| ডালের বড়া তৈরির জন্য:
|-
| মসুর ডাল || ১ কাপ (৮ ঘণ্টা ভিজানো)
|-
| কাঁচা মরিচ, পেঁয়াজ, ধনে পাতা || কুচানো
|-
| লবণ ও সামান্য চালের গুঁড়া || পরিমাণমতো
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# প্রথমে মসুর ডাল ধুয়ে ৮ ঘণ্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। এরপর পানি ঝরিয়ে ডাল বাটুন। বেশি পানি দেবেন না।
# বাটানো ডালে কুচানো পেঁয়াজ, কাঁচা মরিচ, ধনে পাতা, লবণ ও সামান্য চালের গুঁড়া মিশিয়ে মসৃণ মিশ্রণ তৈরি করুন। ছোট ছোট গোল বড়া তৈরি করে হালকা তেলে ভেজে নিন।
# এবার চাল ও মুগ ডাল ধুয়ে এক ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন।
# একটি পাত্রে সরিষার তেল গরম করে তাতে তেজপাতা, দারুচিনি, এলাচ দিয়ে ফোড়ন দিন। এরপর পেঁয়াজ কুচি দিয়ে বাদামি করে ভেজে আদা-রসুন বাটা দিন।
# মসলা কষিয়ে তাতে শুকনো মরিচ, হলুদ ও লবণ দিন। অল্প পানি দিয়ে মসলা ভালোভাবে কষান।
# চাল ও ডাল দিয়ে মসলা ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। তাতে ৩ কাপ গরম পানি দিন। ঢাকা দিয়ে রান্না করুন যতক্ষণ না চাল-ডাল সেদ্ধ হয়।
# খিচুড়ি হয়ে এলে উপর থেকে ভাজা বড়াগুলো ছড়িয়ে দিন এবং ঢেকে রেখে কিছুক্ষণ দম দিন। বড়াগুলো খিচুড়ির গন্ধে ও বাষ্পে আরও নরম ও সুস্বাদু হয়ে উঠবে।
<span style=color:red;><center>'''পরিবেশন করুন টক দই, বেগুন ভাজা বা আম-তেলের আচার দিয়ে।'''</center></span>
== পরামর্শ ==
* বড়া ভাজার সময় খুব বেশি তেলে না ভাজলে স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।
* বড়াগুলো যদি খিচুড়ির মধ্যে রান্না শেষে মেশান, তবে ভেতরটা কিছুটা মচমচে থাকবে, আর আগে মেশালে নরম হবে—আপনার পছন্দ অনুযায়ী সময় ঠিক করুন।
* চালের পরিমাণ বাড়ালে পানি অনুপাতে বাড়াতে ভুলবেন না।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:বাংলাদেশী প্রধান খাবার]]
[[Category:ঐতিহ্যবাহী খাবার]]
[[Category:ডাল-চাল পদ]]
tbhuknxl3v4ww1u81whlzz1q4id4s8b
রাজনৈতিক যোগাযোগের উপাদান/প্রচলিত মিডিয়া নির্দেশিকা/সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
0
25947
84825
80908
2025-06-18T10:28:31Z
Mehedi Abedin
7113
84825
wikitext
text/x-wiki
{{DISPLAYTITLE:<span style="display:block;text-align:left;font-size:.6em;font-family:Times;font-style:italic;line-height:1em;">রাজনৈতিক যোগাযোগের উপাদানসমূহ:</span>
<span style="margin-left:5%;font-family:Times;">প্রথাগত গণমাধ্যম নির্দেশিকা – সংবাদ বিজ্ঞপ্তি</span>}}
[[File:President Barack Obama presents cupcakes with a candle to Hearst White House columnist Helen Thomas in honor of her birthday in the James Brady Briefing Room.jpg|thumb|right|প্রথাগত গণমাধ্যমের সঙ্গে সম্পর্ক গুরুত্বপূর্ণ।]]
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি হলো কোনো নির্দিষ্ট খবর, বিষয় বা ঘটনার বিষয়ে আপনার সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রদত্ত আনুষ্ঠানিক বিবৃতি। এর উদ্দেশ্য নানাবিধ হতে পারে; এই অধ্যায়ে মূলত পেশাদার সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে যোগাযোগের ক্ষেত্রে এই সরঞ্জাম ব্যবহারের ওপর আলোকপাত করা হয়েছে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি সাধারণত স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকাগুলোর লেখার ধরন অনুকরণ করে লেখা হয়, যাতে সংশ্লিষ্ট প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান সেটি হুবহু ছাপাতে পারে।<ref>[[Elements of Political Communication/References#CITEREFJacobs1999|Jacobs, ''Preformulating the News'']], 305।</ref> যতো বড় প্রকাশনা, ততো বেশি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি হুবহু ছাপার সম্ভাবনা কমে যায়। তবে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি সরাসরি ছাপানো না হলেও, তা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে গণমাধ্যমের কাভারেজকে প্রভাবিত করতে পারে।<ref>[[Elements of Political Communication/References#CITEREFTewksburyJonesPeskeRaymond2000|Tewksbury et al., "Interaction of News and Advocate Frames"]], 804।</ref>
{{clear}}
==বিষয়বস্তু==
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সম্পাদকীয় মন্তব্য এড়িয়ে চলুন; শুধুমাত্র সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সময়, তারিখ ও স্থানের মতো প্রাসঙ্গিক তথ্য ও নির্ভরযোগ্য তথ্য উপস্থাপন করুন। বিজ্ঞপ্তির শুরু ও শেষে যোগাযোগের তথ্য সংযুক্ত করা আবশ্যক। যোগাযোগের জন্য এমন একজন ব্যক্তিকে নির্বাচন করুন যিনি বিষয় সম্পর্কে অবগত এবং গণমাধ্যমের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। সাংবাদিক ও সম্পাদকরা নিজেরা খবর বেছে নেন; সেজন্য নির্ভুল ও আকর্ষণীয় শিরোনাম ও সূচনাংশ তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারে। বিজ্ঞপ্তির শেষে সংক্ষিপ্ত একটি 'বয়লারপ্লেট' যুক্ত করুন—এটি আপনার সংগঠনের মূল পরিচিতি ও কার্যক্রমের সংক্ষিপ্ত বিবরণ। দুটি সংস্করণ তৈরি করুন—একটি পরিচিত সংস্থাগুলোর জন্য এবং একটি যেগুলো সংগঠন সম্পর্কে কম জানে তাদের জন্য।<ref>[[Elements of Political Communication/References#CITEREFTreadwellTreadwell2005|Treadwell and Treadwell, ''Public Relations Writing'']], 219।</ref>
==বিন্যাস==
যদিও নির্ধারিত দৈর্ঘ্য নেই, গড় সংবাদ বিজ্ঞপ্তি সাধারণত ৩০০ থেকে ৫০০ শব্দের মধ্যে হয়। বিষয়ের গুরুত্ব ও জটিলতার ওপর ভিত্তি করে দৈর্ঘ্য নির্ধারিত হবে; তবে পুরো বিজ্ঞপ্তিটি একটি পাতার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকা বাঞ্ছনীয়। যদিও ''অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস স্টাইলবুক'' সংবাদ বিজ্ঞপ্তির জন্য নির্ধারিত বিন্যাস নির্ধারণ করে না, কিছু বিন্যাসগত বিষয় মনে রাখা প্রয়োজন।<ref>একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তির উদাহরণ দেখতে দেখুন [[Elements of Political Communication/References#CITEREFAP2012|Associated Press, "2012 AP Stylebook Adds Fashion"]]।</ref> পাঠযোগ্য ১২ পয়েন্টের ফন্ট ব্যবহার করুন। প্রচলিত ভুল ধারণা হলো Times New Roman পড়ার সুবিধা বাড়ায়;<ref>[[Elements of Political Communication/References#CITEREFDelangeEsterhuizenBeatty1993|Delange, Esterhuizen, and Beatty, "Performance Differences"]], 241।</ref> কিন্তু বাস্তবে এটি প্রমাণিত নয়। তবে একটি সুপরিচিত ও গৃহীত ফন্ট ব্যবহার করাই ভালো। জোর দেওয়ার জন্য বিন্যাসগত উপাদান ব্যবহার এড়িয়ে চলুন, তবে [[Elements of Political Communication/Press release guidelines#Template|টেমপ্লেটে]] যেখানে নির্দেশ দেওয়া আছে, সেখানে ব্যবহার করুন। বিজ্ঞপ্তির শেষে কেন্দ্রীয়ভাবে "# # #" লিখুন।
যেকোনো ছবি যুক্ত করার ক্ষেত্রে নিশ্চিত করুন ছবিটি প্রকাশযোগ্য বিন্যাসে রয়েছে। জনপ্রিয় ডিজিটাল বিন্যাস যেমন .PNG বা .JPG ব্যবহার করুন। অধিকাংশ ডিজিটাল ক্যামেরা ছবিকে অতিরিক্ত বড় আকারে তোলে, তাই ছবির আকার ৭০০ পিক্সেলের চেয়ে বড় না রাখাই ভালো। ছবির ফটোগ্রাফার ও ছবিতে থাকা ব্যক্তিদের কাছ থেকে প্রকাশনার জন্য স্পষ্ট অনুমতি গ্রহণ করুন, এবং চিত্রের স্বত্ব সংক্রান্ত তথ্য যুক্ত করুন।<ref>কোনো অপ্রকাশ্য ব্যক্তির ছবি ব্যবহারের ক্ষেত্রে প্রকাশের পূর্বে তার স্পষ্ট সম্মতি গ্রহণ করাই উত্তম। দেখুন [[Elements of Political Communication/References#CITEREFKrages2003|Krages, "The Photographer's Right"]]।</ref>
==উদাহরণ==
===টেমপ্লেট===
নিচের উপাদানগুলো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে অন্তর্ভুক্ত করুন। সংগঠনের লোগো ঐচ্ছিক; তবে বাকি সব তথ্য সঠিক বিন্যাসে থাকা আবশ্যক।
{{quotation|{{Center|[সংস্থার লোগো]}}<br />
জরুরি প্রকাশের জন্য:<br />
যোগাযোগ:<br />
[যোগাযোগ ব্যক্তির নাম]<br />
[ফোন নম্বর]<br />
[সংস্থার নাম]<br />
[ইমেইল ঠিকানা]<br />
[ওয়েবসাইটের URL]<br />
<br />
'''[শিরোনাম]'''<br />
[শহর, রাজ্য] (মাস তারিখ, সাল) - [মূল বার্তা]<br />
<br />
আরও তথ্যের জন্য যোগাযোগ করুন [যোগাযোগ নাম], [ইমেইল ঠিকানা] বা [ফোন নম্বর]।<br />
<br />
'''[সংস্থার নাম] সম্পর্কে'''<br />
[সংক্ষিপ্ত বিবরণ (বয়লারপ্লেট)]<br />
{{Center|<nowiki># # #</nowiki>}}}}
===ওয়েবসাইট উদ্বোধন===
{{quotation|[[File:Generic Local Political Party Logo.png|center|alt=A generic logo for a local political party, with the words "Local Political Party" in large text, each word with its own line.|frameless]]
জরুরি প্রকাশের জন্য:<br />
যোগাযোগ:<br />
ফেইক নাম<br />
(৯৪০) ৫৫৫-৫৫৫৫<br />
লোকাল পলিটিক্যাল পার্টি<br />
email@example.org<br />
http://www.example.org<br /><br />
'''লোকাল পলিটিক্যাল পার্টি নির্বাহী কমিটির বৈঠকে নতুন ওয়েবসাইট চালু করেছে'''<br />
CITY, State (১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১১) - লোকাল পলিটিক্যাল পার্টি তাদের নতুন ওয়েবসাইট http://www.example.org চালু করেছে মঙ্গলবার। সাইটটিতে তথ্য ও সংস্থান রয়েছে, পাশাপাশি নাগরিকদের অংশগ্রহণকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।<br />
<br />
নতুন ফিচারসমূহের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, ব্যবহারকারীরা প্রতিটি নিবন্ধ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাগ করতে পারবে বা মতামত জানাতে পারবে। "Speak Up" নামক পৃষ্ঠা ব্যবহারকারীদের স্থানীয় সম্পাদকীয় পাতার সঙ্গে যুক্ত করে, যাতে তারা সহজেই তাদের মতামত প্রকাশ করতে পারে।<br />
<br />
এই রিডিজাইন পার্টির একটি নতুন যোগাযোগ কৌশলের অংশ, যা নাগরিকদের সঙ্গে অংশগ্রহণমূলক রাজনীতি গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে।<br />
<br />
আরও তথ্যের জন্য, যোগাযোগ করুন ফেইক নামের সঙ্গে: email@example.com, (৫৫৫) ৫৫৫-৫৫৫৫।<br />
<br />
'''লোকাল পলিটিক্যাল পার্টি সম্পর্কে'''<br />
আমরা ব্যক্তিগত স্বাধীনতা ও অর্থবহ অংশগ্রহণমূলক রাজনৈতিক স্বাধীনতাকে মূল্য দিই। আমাদের লক্ষ্য হলো জনগণকে সংগঠিত করে, শিক্ষার মাধ্যমে সচেতন করে এবং যোগ্য প্রার্থীদের নৈতিক প্রচারের মাধ্যমে নির্বাচিত করে আমাদের কমিউনিটির মূল্যবোধকে এগিয়ে নেওয়া: স্বাধীনতা, সমতা ও সুযোগের মাধ্যমে শক্তিশালী একটি আমেরিকা গড়ে তোলা।<br />
{{Center|<nowiki># # #</nowiki>}}}}
==টীকাসমূহ==
{{reflist}}
{{chapnav|Op-eds and letters to the editor|}}
__NOTOC__
fchetk9hqug017p34571s0cyzh02mie
84826
84825
2025-06-18T10:29:42Z
Mehedi Abedin
7113
84826
wikitext
text/x-wiki
{{DISPLAYTITLE:<span style="display:block;text-align:left;font-size:.6em;font-family:Times;font-style:italic;line-height:1em;">রাজনৈতিক যোগাযোগের উপাদানসমূহ:</span>
<span style="margin-left:5%;font-family:Times;">প্রথাগত গণমাধ্যম নির্দেশিকা – সংবাদ বিজ্ঞপ্তি</span>}}
[[File:President Barack Obama presents cupcakes with a candle to Hearst White House columnist Helen Thomas in honor of her birthday in the James Brady Briefing Room.jpg|thumb|right|প্রথাগত গণমাধ্যমের সঙ্গে সম্পর্ক গুরুত্বপূর্ণ।]]
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি হলো কোনো নির্দিষ্ট খবর, বিষয় বা ঘটনার বিষয়ে আপনার সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রদত্ত আনুষ্ঠানিক বিবৃতি। এর উদ্দেশ্য নানাবিধ হতে পারে; এই অধ্যায়ে মূলত পেশাদার সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে যোগাযোগের ক্ষেত্রে এই সরঞ্জাম ব্যবহারের ওপর আলোকপাত করা হয়েছে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি সাধারণত স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকাগুলোর লেখার ধরন অনুকরণ করে লেখা হয়, যাতে সংশ্লিষ্ট প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান সেটি হুবহু ছাপাতে পারে।<ref>[[Elements of Political Communication/References#CITEREFJacobs1999|Jacobs, ''Preformulating the News'']], 305।</ref> যতো বড় প্রকাশনা, ততো বেশি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি হুবহু ছাপার সম্ভাবনা কমে যায়। তবে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি সরাসরি ছাপানো না হলেও, তা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে গণমাধ্যমের কাভারেজকে প্রভাবিত করতে পারে।<ref>[[Elements of Political Communication/References#CITEREFTewksburyJonesPeskeRaymond2000|Tewksbury et al., "Interaction of News and Advocate Frames"]], 804।</ref>
{{clear}}
==বিষয়বস্তু==
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সম্পাদকীয় মন্তব্য এড়িয়ে চলুন; শুধুমাত্র সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সময়, তারিখ ও স্থানের মতো প্রাসঙ্গিক তথ্য ও নির্ভরযোগ্য তথ্য উপস্থাপন করুন। বিজ্ঞপ্তির শুরু ও শেষে যোগাযোগের তথ্য সংযুক্ত করা আবশ্যক। যোগাযোগের জন্য এমন একজন ব্যক্তিকে নির্বাচন করুন যিনি বিষয় সম্পর্কে অবগত এবং গণমাধ্যমের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। সাংবাদিক ও সম্পাদকরা নিজেরা খবর বেছে নেন; সেজন্য নির্ভুল ও আকর্ষণীয় শিরোনাম ও সূচনাংশ তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারে। বিজ্ঞপ্তির শেষে সংক্ষিপ্ত একটি 'বয়লারপ্লেট' যুক্ত করুন—এটি আপনার সংগঠনের মূল পরিচিতি ও কার্যক্রমের সংক্ষিপ্ত বিবরণ। দুটি সংস্করণ তৈরি করুন—একটি পরিচিত সংস্থাগুলোর জন্য এবং একটি যেগুলো সংগঠন সম্পর্কে কম জানে তাদের জন্য।<ref>[[Elements of Political Communication/References#CITEREFTreadwellTreadwell2005|Treadwell and Treadwell, ''Public Relations Writing'']], 219।</ref>
==বিন্যাস==
যদিও নির্ধারিত দৈর্ঘ্য নেই, গড় সংবাদ বিজ্ঞপ্তি সাধারণত ৩০০ থেকে ৫০০ শব্দের মধ্যে হয়। বিষয়ের গুরুত্ব ও জটিলতার ওপর ভিত্তি করে দৈর্ঘ্য নির্ধারিত হবে; তবে পুরো বিজ্ঞপ্তিটি একটি পাতার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকা বাঞ্ছনীয়। যদিও ''অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস স্টাইলবুক'' সংবাদ বিজ্ঞপ্তির জন্য নির্ধারিত বিন্যাস নির্ধারণ করেনি, তবে কিছু বিন্যাসগত বিষয় মনে রাখা প্রয়োজন।<ref>একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তির উদাহরণ দেখতে দেখুন [[Elements of Political Communication/References#CITEREFAP2012|Associated Press, "2012 AP Stylebook Adds Fashion"]]।</ref> পাঠযোগ্য ১২ পয়েন্টের ফন্ট ব্যবহার করুন। প্রচলিত ভুল ধারণা হলো Times New Roman পড়ার সুবিধা বাড়ায়;<ref>[[Elements of Political Communication/References#CITEREFDelangeEsterhuizenBeatty1993|Delange, Esterhuizen, and Beatty, "Performance Differences"]], 241।</ref> কিন্তু বাস্তবে এটি প্রমাণিত নয়। তবে একটি সুপরিচিত ও গৃহীত ফন্ট ব্যবহার করাই ভালো। জোর দেওয়ার জন্য বিন্যাসগত উপাদান ব্যবহার এড়িয়ে চলুন, তবে [[Elements of Political Communication/Press release guidelines#Template|টেমপ্লেটে]] যেখানে নির্দেশ দেওয়া আছে, সেখানে ব্যবহার করুন। বিজ্ঞপ্তির শেষে কেন্দ্রীয়ভাবে "# # #" লিখুন।
যেকোনো ছবি যুক্ত করার ক্ষেত্রে নিশ্চিত করুন ছবিটি প্রকাশযোগ্য বিন্যাসে রয়েছে। জনপ্রিয় ডিজিটাল বিন্যাস যেমন .PNG বা .JPG ব্যবহার করুন। অধিকাংশ ডিজিটাল ক্যামেরা ছবিকে অতিরিক্ত বড় আকারে তোলে, তাই ছবির আকার ৭০০ পিক্সেলের চেয়ে বড় না রাখাই ভালো। ছবির ফটোগ্রাফার ও ছবিতে থাকা ব্যক্তিদের কাছ থেকে প্রকাশনার জন্য স্পষ্ট অনুমতি গ্রহণ করুন,ল এবং চিত্রের স্বত্ব সংক্রান্ত তথ্য যুক্ত করুন।<ref>কোনো অপ্রকাশ্য ব্যক্তির ছবি ব্যবহারের ক্ষেত্রে প্রকাশের পূর্বে তার স্পষ্ট সম্মতি গ্রহণ করাই উত্তম। দেখুন [[Elements of Political Communication/References#CITEREFKrages2003|Krages, "The Photographer's Right"]]।</ref>
==উদাহরণ==
===টেমপ্লেট===
নিচের উপাদানগুলো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে অন্তর্ভুক্ত করুন। সংগঠনের লোগো ঐচ্ছিক; তবে বাকি সব তথ্য সঠিক বিন্যাসে থাকা আবশ্যক।
{{quotation|{{Center|[সংস্থার লোগো]}}<br />
জরুরি প্রকাশের জন্য:<br />
যোগাযোগ:<br />
[যোগাযোগ ব্যক্তির নাম]<br />
[ফোন নম্বর]<br />
[সংস্থার নাম]<br />
[ইমেইল ঠিকানা]<br />
[ওয়েবসাইটের URL]<br />
<br />
'''[শিরোনাম]'''<br />
[শহর, রাজ্য] (মাস তারিখ, সাল) - [মূল বার্তা]<br />
<br />
আরও তথ্যের জন্য যোগাযোগ করুন [যোগাযোগ নাম], [ইমেইল ঠিকানা] বা [ফোন নম্বর]।<br />
<br />
'''[সংস্থার নাম] সম্পর্কে'''<br />
[সংক্ষিপ্ত বিবরণ (বয়লারপ্লেট)]<br />
{{Center|<nowiki># # #</nowiki>}}}}
===ওয়েবসাইট উদ্বোধন===
{{quotation|[[File:Generic Local Political Party Logo.png|center|alt=A generic logo for a local political party, with the words "Local Political Party" in large text, each word with its own line.|frameless]]
জরুরি প্রকাশের জন্য:<br />
যোগাযোগ:<br />
ফেইক নাম<br />
(৯৪০) ৫৫৫-৫৫৫৫<br />
লোকাল পলিটিক্যাল পার্টি<br />
email@example.org<br />
http://www.example.org<br /><br />
'''লোকাল পলিটিক্যাল পার্টি নির্বাহী কমিটির বৈঠকে নতুন ওয়েবসাইট চালু করেছে'''<br />
CITY, State (১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১১) - লোকাল পলিটিক্যাল পার্টি তাদের নতুন ওয়েবসাইট http://www.example.org চালু করেছে মঙ্গলবার। সাইটটিতে তথ্য ও সংস্থান রয়েছে, পাশাপাশি নাগরিকদের অংশগ্রহণকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।<br />
<br />
নতুন ফিচারসমূহের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, ব্যবহারকারীরা প্রতিটি নিবন্ধ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাগ করতে পারবে বা মতামত জানাতে পারবে। "Speak Up" নামক পৃষ্ঠা ব্যবহারকারীদের স্থানীয় সম্পাদকীয় পাতার সঙ্গে যুক্ত করে, যাতে তারা সহজেই তাদের মতামত প্রকাশ করতে পারে।<br />
<br />
এই রিডিজাইন পার্টির একটি নতুন যোগাযোগ কৌশলের অংশ, যা নাগরিকদের সঙ্গে অংশগ্রহণমূলক রাজনীতি গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে।<br />
<br />
আরও তথ্যের জন্য, যোগাযোগ করুন ফেইক নামের সঙ্গে: email@example.com, (৫৫৫) ৫৫৫-৫৫৫৫।<br />
<br />
'''লোকাল পলিটিক্যাল পার্টি সম্পর্কে'''<br />
আমরা ব্যক্তিগত স্বাধীনতা ও অর্থবহ অংশগ্রহণমূলক রাজনৈতিক স্বাধীনতাকে মূল্য দিই। আমাদের লক্ষ্য হলো জনগণকে সংগঠিত করে, শিক্ষার মাধ্যমে সচেতন করে এবং যোগ্য প্রার্থীদের নৈতিক প্রচারের মাধ্যমে নির্বাচিত করে আমাদের কমিউনিটির মূল্যবোধকে এগিয়ে নেওয়া: স্বাধীনতা, সমতা ও সুযোগের মাধ্যমে শক্তিশালী একটি আমেরিকা গড়ে তোলা।<br />
{{Center|<nowiki># # #</nowiki>}}}}
==টীকাসমূহ==
{{reflist}}
{{chapnav|Op-eds and letters to the editor|}}
__NOTOC__
qxkh5y88cp3wdyx2i7dafrh1jw847t9
রন্ধনপ্রণালী আলোচনা:খস খস শরবত
105
26104
84678
81319
2025-06-17T23:26:50Z
Mehedi Abedin
7113
Mehedi Abedin [[আলাপ:রন্ধনপ্রনালী:খস খস শরবত]] কে [[রন্ধনপ্রণালী আলোচনা:খস খস শরবত]] শিরোনামে স্থানান্তর করেছেন
81319
wikitext
text/x-wiki
{{আলাপ পাতা}}
{{আলাপ পাতা/উইকিবই লিখন প্রতিযোগিতা ২০২৫}}
8vxn9zum7n3tju9ayrerhr25vm4kljv
রন্ধনপ্রণালী:মিহিদানা লাড্ডু
104
26147
84690
84078
2025-06-17T23:42:49Z
MD Abu Siyam
8392
84690
wikitext
text/x-wiki
{{রন্ধনপ্রণালী সারাংশ
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ = মিষ্টান্ন
| পরিবেশন = ৬–৮ জন
| তৈরির সময় = ২–৩ ঘণ্টা
| কষ্টসাধ্য = ৪
| খাদ্য শক্তি = উচ্চ
| টীকা = মিহিদানা থেকে তৈরি লাড্ডু একটি জনপ্রিয় ও মুখরোচক মিষ্টি যা সাধারণত উৎসব, পূজা বা বিশেষ দিনে পরিবেশন করা হয়।
}}
{{রন্ধনপ্রণালী}}
<center><big>'''মিহিদানা লাড্ডু'''</big></center>
মিহিদানা লাড্ডু হল একটি বিখ্যাত বাঙালি মিষ্টি, যা সূক্ষ্ম বুন্দির মতো দেখতে মিহিদানা থেকে তৈরি হয়। এটি সাধারণত ঘি বা ঘন চিনি-সিরার মাধ্যমে একত্রিত করে গোলাকার রূপে তৈরি করা হয়। রাজশাহী, বর্ধমান বা নদীয়া অঞ্চলে বিশেষভাবে এই মিষ্টির জনপ্রিয়তা রয়েছে। একে শুধুমাত্র একটি খাবার বলা যায় না, এটি আমাদের উৎসব, আনন্দ আর আতিথেয়তার প্রতীক।
== উপকরণ ==
{| class="wikitable"
! উপকরণ !! পরিমাণ
|-
| বেসনের মিহি আটা || ২ কাপ
|-
| বেকিং সোডা || ১ চিমটি
|-
| পানি || প্রয়োজনমতো (ঘন গোলার জন্য)
|-
| ঘি (ভাজার জন্য) || পর্যাপ্ত পরিমাণ
|-
| চিনি || ২ কাপ
|-
| পানি (চিনি সিরার জন্য) || ১ কাপ
|-
| এলাচ গুঁড়া || ১/২ চা চামচ
|-
| পেস্তা বা কাজু কুচি || সাজানোর জন্য (ঐচ্ছিক)
|}
== প্রস্তুত প্রণালী ==
# প্রথমে একটি পাত্রে বেসনের মিহি আটা ও এক চিমটি বেকিং সোডা নিয়ে অল্প অল্প পানি দিয়ে একটি মসৃণ ও মাঝারি পাতলা গোলা তৈরি করুন। গোলাটি যেন খুব পাতলা না হয়।
# একটি মিহি ছিদ্রযুক্ত ঝাঁজরি বা ছাঁকনিতে গোলা নিয়ে গরম ঘিতে ফোঁটা ফোঁটা করে ছেড়ে দিন। এতে ছোট ছোট দানার মতো মিহিদানা তৈরি হবে। হালকা ভাজা হলে তুলে কিচেন টিস্যুতে রাখুন।
# এইভাবে সব মিহিদানা তৈরি করে নিন। চাইলে দ্বিতীয়বার হালকা ভেজে আরও কড়কড়ে করা যায়, তবে অধিক ভাজা উচিত নয়।
# অন্যদিকে একটি পাত্রে ২ কাপ চিনি ও ১ কাপ পানি দিয়ে পাতলা সিরা তৈরি করুন। এতে এলাচ গুঁড়া মিশিয়ে দিন। সিরা আঁঠালো হলে চুলা থেকে নামান।
# মিহিদানা সিরায় ডুবিয়ে ৩০–৪০ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন, যাতে চিনি ভালোভাবে ঢুকে যায়।
# এবার সিরা থেকে মিহিদানা ছেঁকে নিয়ে একটি বড় প্লেটে নিয়ে ঘি দিয়ে হাতে ভালোভাবে মাখাতে থাকুন।
# হাতে চেপে চেপে ছোট ছোট গোল লাড্ডু তৈরি করুন। চাইলে প্রতিটিতে পেস্তা বা কাজু কুচি গুঁজে দিতে পারেন।
== পরিবেশন ==
মিহিদানা লাড্ডু ঠান্ডা অবস্থায় পরিবেশন করতে হয়। এটি পূজা, পার্বণ, বিয়ে বা অতিথি আপ্যায়নে বিশেষভাবে পরিবেশিত হয়। বাচ্চা থেকে বৃদ্ধ—সবাই এই মিষ্টির স্বাদে মুগ্ধ হন।
== পরামর্শ ==
* মিহিদানার গোলা খুব পাতলা করলে ফোঁটা পড়ে না, আবার ঘন হলে বড় দানা হয়—তাই মাঝামাঝি ঘনত্ব বজায় রাখা জরুরি।
* সিরার ঘনত্ব খুব বেশি হলে লাড্ডু শক্ত হয়ে যায়, আবার কম হলে বাঁধে না—একটু ঝুলে আঁঠালো অবস্থায় নামানোই উত্তম।
* লাড্ডু বানানোর সময় হাত ঘিতে মাখানো থাকলে ভালোভাবে গোল করা যায়।
== ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট ==
বর্ধমান জেলার মিহিদানা ও সীতাভোগ ২০১৭ সালে জিআই ট্যাগ লাভ করে। এই লাড্ডুর ইতিহাস সেই ব্রিটিশ আমল পর্যন্ত গড়ে ওঠে, যখন ইংরেজ কর্মকর্তারা বাঙালি মিষ্টির অমৃত স্বাদে মুগ্ধ হয়েছিলেন। সেই ঐতিহ্য আজও ধরে রেখেছে আমাদের মিহিদানা লাড্ডু।
== মন্তব্য ==
মিহিদানা লাড্ডু শুধু একটি মিষ্টান্ন নয়, এটি বাঙালির আনন্দঘন মুহূর্তের অবিচ্ছেদ্য অংশ। এর সূক্ষ্ম গঠন, ঘ্রাণ, ও মুখে গলে যাওয়া স্বাদ—সব মিলিয়ে এটি একটি অবিস্মরণীয় অভিজ্ঞতা।
[[Category:রন্ধনপ্রণালী]]
[[Category:মিষ্টান্ন]]
[[Category:ঐতিহ্যবাহী খাবার]]
[[Category:লাড্ডু]]
tvbx0azw7p0gcwfx9zo0nwi6wa0w89p
চিন্তন ও নির্দেশনা/গণিত শেখা
0
26205
84660
83976
2025-06-17T18:44:58Z
NusJaS
8394
84660
wikitext
text/x-wiki
গণিতের বিভিন্ন শাখা রয়েছে যেমন জ্যামিতি, বীজগণিত, ক্যালকুলাস এবং সম্ভাব্যতা; প্রতিটি ক্ষেত্রেই রয়েছে বিশেষ ধরনের ধারণা ও পদ্ধতির দক্ষতা অর্জনের প্রয়োজন। শিক্ষাদান এবং শেখার ক্ষেত্রে যে চ্যালেঞ্জগুলো থাকে, তা বোঝা ও অতিক্রম করা যায় জ্ঞানীয় প্রক্রিয়ার বিশ্লেষণের মাধ্যমে। এই অধ্যায়ে আমরা গণিত শিক্ষায় প্রাসঙ্গিক জ্ঞানীয় তত্ত্ব ও গবেষণা পর্যালোচনা করব। আমরা পাইজেটের জ্ঞানীয় বিকাশ তত্ত্বের প্রাসঙ্গিক দিকগুলো এবং এই তত্ত্বের সমালোচনা আলোচনা করব। আমরা ব্যাখ্যা করব কীভাবে বিভিন্ন বিষয় একজন শিক্ষার্থীর গণিত শেখার সক্ষমতাকে প্রভাবিত করে এবং কীভাবে শিক্ষকরা পাঠ পরিকল্পনার সময় এই বিষয়গুলো বিবেচনায় নিতে পারেন।
==গণিত কী?==
গণিত হলো সংখ্যা, পরিমাণ, জ্যামিতি এবং স্থান ও এদের পারস্পরিক সম্পর্ক এবং কার্যাবলীর অধ্যয়ন। এটি '''ধারণাগত, প্রক্রিয়াগত এবং ঘোষণামূলক জ্ঞান'''-এর সংমিশ্রণ ব্যবহার করে।<ref>Wong, B., Graham, L., Hoskyn, M., & Berman, J. (Eds.). (2008). ''The ABCs of learning disabilities'' (2nd ed.). Boston: Elsevier Academic Press. </ref> গণিত সমস্যার সফল সমাধানের জন্য শিক্ষার্থীদের এই জ্ঞানসমষ্টি অর্জন করতে হয়। গণিতে সঠিকভাবে সম্পৃক্ত হওয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের আগে ধারণাগত জ্ঞান অর্জন করতে হবে, যার জন্য পূর্বে শেখা ধারণাগুলোর প্রয়োগ দরকার হয়। গণিতের ধারণাগত জ্ঞান অন্য সব গণিত-সম্পর্কিত দক্ষতার উন্নয়নে সহায়তা করে যেমন: ইতিবাচক মনোভাব, প্রক্রিয়াগত দক্ষতা, কৌশলগত পারদর্শিতা এবং অভিযোজিত যুক্তিশক্তি। একটির বিকাশ অন্যগুলোকেও শক্তিশালী করে এবং এতে সামগ্রিক জ্ঞান বৃদ্ধি পায়। অর্থাৎ, ধারণাগত জ্ঞান প্রক্রিয়াগত জ্ঞানকে সমৃদ্ধ করে, এবং এই ধারাটি চলতে থাকে।<ref>Bruning, R., Schraw, G., & Norby, M. (2011). ''Cognitive Psychology and Instruction'' (5th ed.). Boston: Pearson Education.</ref> উদাহরণস্বরূপ, গণিতে অনেক ধরনের অ্যালগরিদম রয়েছে যেগুলো শিক্ষার্থীদের জানা প্রয়োজন। যখন শিক্ষার্থীরা গণিতের মূলনীতি ও ধারণাগুলো পরিষ্কারভাবে বুঝতে পারে, তখন তারা যেকোনো সমস্যার জন্য যথাযথ অ্যালগরিদম বেছে নিয়ে তা প্রয়োগ করতে সক্ষম হয়। এটি ধারণাগত ও প্রক্রিয়াগত জ্ঞানের সংযোগ নির্দেশ করে কারণ শিক্ষার্থীরা অনেক কৌশল শিখলেও সঠিকটি বেছে নেওয়া এবং তা প্রয়োগ করাই মূল বিষয়।<ref>Bruning, R., Schraw, G., & Norby, M. (2011). ''Cognitive Psychology and Instruction'' (5th ed.). Boston: Pearson Education.</ref> এছাড়াও, জটিল গণিত সমস্যার সমাধানে কোনো প্রক্রিয়া সফল হলে বা ব্যর্থ হলে শিক্ষার্থীরা প্রায়ই সেখান থেকে আরও শিখতে পারে। ভুলের মাধ্যমে আত্ম-প্রশ্ন করে তারা নিজের বিদ্যমান জ্ঞান পুনর্গঠন করতে পারে এবং ফলে তাদের ধারণাগত জ্ঞান বৃদ্ধি পায়। ঘোষণামূলক জ্ঞান ধারণাগত ও প্রক্রিয়াগত জ্ঞানের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত কারণ এতে শিক্ষার্থীদের দীর্ঘমেয়াদি স্মৃতি থেকে ধারণা (ধারণাগত জ্ঞান) ও নির্দিষ্ট অ্যালগরিদম (প্রক্রিয়াগত জ্ঞান) পুনরুদ্ধার করতে হয়। এই তিনটি ক্ষেত্রের যেকোনো একটির ঘাটতি গণিত শেখায় অসুবিধা সৃষ্টি করতে পারে।<ref>Wong, B., Graham, L., Hoskyn, M., & Berman, J. (Eds.). (2008). ''The ABCs of learning disabilities'' (2nd ed.). Boston: Elsevier Academic Press.</ref> সুতরাং, এই তিন ধরনের জ্ঞানের সংমিশ্রণ একে অপরের সঙ্গে সংযুক্ত থাকায় তা শিক্ষার প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করে।
==জ্ঞানীয় তত্ত্ব এবং গণিত==
===পাইজেটের জ্ঞানীয় বিকাশ তত্ত্ব===
জঁ পাইজেট জন্ম থেকে কৈশোর পর্যন্ত জ্ঞানীয় বিকাশকে চারটি ধাপে ভাগ করেছেন: সংবেদনশীল গতি (জন্ম থেকে ২ বছর), প্রাক-পরিচালন (প্রায় ২ থেকে ৭ বছর), কংক্রিট অপারেশনাল (প্রায় ৭ থেকে ১১ বছর), এবং ফর্মাল অপারেশনাল (প্রায় ১১ থেকে ১৫ বছর)। যদিও সবাই এই ধাপগুলোতে ভিন্নভাবে অগ্রসর হয়, পাইজেট বিশ্বাস করতেন প্রতিটি শিশু পর্যায়ক্রমে প্রতিটি ধাপ অতিক্রম করবে এবং কেউ কোনো ধাপ বাদ দেবে না কারণ পূর্ববর্তী ধাপ না শেখা পর্যন্ত পরবর্তী ধাপে যাওয়া সম্ভব নয়; সময়ের বিষয় মাত্র।<br />
পাইজেট আরও বলেন, শিশুর শেখা মূলত জন্ম থেকে ২ বছর পর্যন্ত চলাফেরা ও পাঁচটি ইন্দ্রিয়ের মাধ্যমে গঠিত হয়। জন্মের কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই শিশু বস্তু অনুসরণ এবং ধরার চেষ্টা শুরু করে, যা চোখ ও চলন সংক্রান্ত মস্তিষ্কের অংশগুলোকে বিকশিত করতে সাহায্য করে। একবার শিশু বুঝে যায় যে শেখা পুনরাবৃত্তির মাধ্যমে হয়, তখন তারা নিজেরা পরিকল্পনা করে কাঙ্ক্ষিত বস্তু পেতে দক্ষ উপায়ে কাজ করে। পাইজেট দাবি করেন যে এই পর্যায়ে শিশুরা সংখ্যাকে বস্তুর সঙ্গে সংযুক্ত করতে পারে<ref>Piaget, J. (1977). Epistemology and psychology of functions. Dordrecht, Netherlands: D. Reidel Publishing Company.</ref> এবং এমনও প্রমাণ আছে যে শিশুরা সংখ্যার ধারণা ও গণনার কিছু ধারণা ইতোমধ্যেই অর্জন করে<ref>Fuson, K. C. (1988). Children’s counting and concepts of numbers. New York: Springer.</ref>। এই পর্যায়ে শিশুদের গণিত দক্ষতা গঠনের জন্য শিক্ষকরা এমন কার্যক্রম দিতে পারেন যাতে সংখ্যা ও গণনা যুক্ত থাকে। যেমন, ছবি যুক্ত বই পড়ানো যেতে পারে। এতে শিশুরা বস্তুর ছবি ও সংশ্লিষ্ট সংখ্যার মধ্যে সম্পর্ক তৈরি করতে শিখবে এবং পড়া ও অনুধাবন ক্ষমতাও বাড়বে। এই সময়ে পাইজেট দেখিয়েছেন যে শিশুরা নিজেরাই বস্তু ও জ্ঞানের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করতে পারে, যা বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশে সহায়তা করে।<ref>Piaget, J. (1963). The origins of intelligence in children. New York, NY: W.W. Norton & Company, Inc.</ref> যেহেতু পাইজেট মনে করতেন, একজন ব্যক্তির আগে অর্জিত জ্ঞানের ওপর ভিত্তি করে পরবর্তী ধাপে যেতে হয়, তাই সংখ্যা সম্পর্কে শিশুদের বোঝাপড়া বাড়ানোর জন্য এমন কার্যক্রমের মাধ্যমে গণিতের ভিত্তি তৈরি করা উচিত যাতে গণনা অন্তর্ভুক্ত থাকে।<br />
প্রায় ২ থেকে ৭ বছর বয়সে শিশুরা ভাষা, প্রতীকী চিন্তা, আত্মকেন্দ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি এবং সীমিত যৌক্তিকতা অর্জন করে। এই সময়ে তারা সংখ্যা বা ব্লকের মতো বস্তুর মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করতে শেখে। যদিও তারা সংখ্যার কিছু ধারণা অর্জন করে, তবে তাদের যৌক্তিক ক্ষমতা সীমিত থাকে এবং তারা বিপরীত ক্রমে কার্য পরিচালনা করতে পারে না। যেমন, যারা বুঝতে পারে ৫+৩ = ৮, তারা বুঝতে নাও পারে ৩+৫ = ৮। পাইজেটের মতে, কারণ তারা কোনো একটি দিক বুঝলে অন্য দিক হারিয়ে ফেলে। এই সময়ে শিক্ষকেরা শিশুদের দিয়ে নির্দিষ্ট গঠন তৈরি করতে পারে ব্লক দিয়ে। এতে তারা একজাতীয় বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে গোষ্ঠীভুক্ত করতে শিখবে এবং বুঝবে একাধিক উপায়ে এটি তৈরি করা যায়।<ref>Thompson, C. S. (1990). Place value and larger numbers. In J. N. Payne (Ed.), Mathematics for young children (pp. 89–108). Reston, VA: National Council of Teachers of Mathematics.</ref> <br />
৭ থেকে ১১ বছর বয়সে শিশুরা জ্ঞানীয়ভাবে দ্রুত বিকশিত হয়। তারা একাধিক দিক বা মাত্রা বুঝতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, পাইজেট একটি পরীক্ষায় একই পরিমাণ তরলকে ভিন্ন আকারের বোতলে ঢেলে দেখিয়েছিলেন — এই পর্যায়ের শিশুরা বুঝতে পারে তরলের উচ্চতা কেন পরিবর্তন হয়। এই সময়ে ‘শ্রেণিবিন্যাস’ ও ‘সিরিয়েশন’-এর দক্ষতা গড়ে ওঠে<ref>Piaget, J. (1977). Epistemology and psychology of functions. Dordrecht, Netherlands: D. Reidel Publishing Company.</ref>। তারা একজাতীয় বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে বস্তু শ্রেণিবদ্ধ করতে শেখে এবং বৃদ্ধিপ্রাপ্ত বা হ্রাসপ্রাপ্ত মান অনুযায়ী সাজাতে শেখে। যদিও এই পর্যায়ে তারা মৌলিক গণনাগুলো জানতে পারে, তবে বাস্তব সমস্যায় তা প্রয়োগ করতে পারে না। যেমন, ৩টি সারিতে ৫টি ব্লক দিয়ে তৈরি গঠনের সংখ্যা গণনা করতে বললে, তারা গুণের ধারণা ব্যবহার করে না। অর্থাৎ, এই সময়ে তাদের গাণিতিক ধারণাগুলো বাস্তব বস্তুর সঙ্গে সংযুক্ত থাকতে হয়। তারা এখনো পরিমাপের উপর ভিত্তি করে সুনির্দিষ্ট পদ্ধতি তৈরি করতে সক্ষম নয়।<br />
১১ থেকে ১৫ বছর বয়সে শিশুরা নিজেরাই তত্ত্ব তৈরি করতে এবং গণিতের ধারণা গঠন করতে পারে। তারা বিমূর্ত ধারণাকে বাস্তব পরিস্থিতির সঙ্গে মিলিয়ে নিতে পারে। যেমন, তারা এখন অ্যালজেব্রার একটি সমস্যা নিজে নিজে সমাধান করতে পারে, যেখানে আগে শিক্ষককে বাস্তব উদাহরণ দিতে হতো। তারা কারণ নির্ণয়, ব্যাখ্যা, বিশ্লেষণ এবং প্রয়োগ করতে শেখে। শিক্ষকেরা তাদের শেখাতে পারেন কীভাবে শব্দের সমস্যা বিশ্লেষণ করতে হয় এবং কোন তথ্য প্রাসঙ্গিক আর কোনটা নয় তা বোঝাতে হয়।<br />
পাইজেট মনে করতেন, যদি কোনো শিশু কোনো ধারণা বুঝতে ব্যর্থ হয়, তবে সেটির কারণ হচ্ছে সমস্যা থেকে সরাসরি গাণিতিক রূপান্তরে যাওয়ার চেষ্টা। তার মতে, শিশুদের শেখাতে হলে এমন পদ্ধতি নিতে হবে যা তাদের নিজে আবিষ্কার করতে উৎসাহ দেয়, যাতে তারা নিজেরাই ধারণা গড়ে তুলতে পারে, পরিবর্তে শিক্ষক তাদের সরাসরি উত্তর না দিয়ে। <ref>Piaget, J. (1968). Genetic epistemology. New York, NY: Columbia University Press Retrieved June 13, 2003 from the World Wide Web: http://www.marxists.org/reference/subject/philosophy/works/fr/piaget.htm</ref>
=== পাইগেট তত্ত্বের সমালোচনা ===
{| class="wikitable"
!পাইগেটের জ্ঞানীয় বিকাশের বিশ্বাস
!সমালোচনা
|-
|১) শিশুরা বস্তুর স্থায়িত্ব বোঝার বিকাশ শুরু করে
|
* পাইগেট শিশুদের অনুপ্রেরণার প্রয়োজনীয়তা উপেক্ষা করেছিলেন
* শিশুদের স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়
|-
|২) শিশুদের সংবেদনশীল ক্ষমতা এবং জ্ঞানীয় বিকাশ তাদের জন্মের প্রথম ৬ মাসের মধ্যে ঘটে
|
* সমস্ত শিক্ষার্থী একই নয়, তাদের অনন্য দক্ষতার ভিত্তিতে তাদের উচ্চতর বা নিম্ন বিভাগে স্থাপন করা যেতে পারে
|-
|৩) প্রতিটি শিশু একটি নির্দিষ্ট ক্রমে চারটি পর্যায়ের অভিজ্ঞতা অর্জন করবে
|
* পাইগেট বংশগতি, সংস্কৃতি এবং শিক্ষার মতো বাহ্যিক কারণগুলোকে অবহেলা করেছিলেন
|-
|৪) পাইগেট জ্ঞানীয় বিকাশকে নির্দিষ্ট পর্যায়ে পৃথক করে
|
* জ্ঞানীয় বিকাশের পর্যায়গুলো ধীরে ধীরে এবং ক্রমাগত অগ্রগতি হিসাবে দেখা উচিত
|}
যদিও আধুনিককালে শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের জ্ঞানীয় বিকাশ পর্যবেক্ষণের জন্য পাইগেটের তত্ত্ব ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়, তবুও এ নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। অনেক শিক্ষাবিদ পাইগেটের তত্ত্বের উপর নির্ভর করে শিক্ষার্থীদের গাণিতিক শিক্ষার উপযুক্ততা পরিমাপ করেন। অন্যদিকে, হিবার্ট ও কার্পেন্টার মত দিয়েছেন যে, পাইগেটের তত্ত্ব তেমন কার্যকর নির্দেশনা নয়, কারণ বহু গবেষণায় প্রমাণ হয়েছে যে, অনেক শিশু যারা পাইগেটের তত্ত্ব অনুসরণ করতে পারে না, তারাও গাণিতিক ধারণা ও দক্ষতা অর্জনে সক্ষম।<ref>Hiebert, J., and T. P. Carpenter. "Piagetian Tasks as Readiness Measures in Mathematics Instruction: A CriticalReview." EDUCATIONAL STUDIES IN MATHEMATICS 13: 329-345, 1982</ref>
পাইগেট যেখানে শিশুর অভ্যন্তরীণ জ্ঞান অনুসন্ধানের উপর গুরুত্ব দেন এবং বিশ্বাস করতেন যে, জন্ম থেকে দুই বছর পর্যন্ত শিশু বস্তু স্থায়ীত্ব (যেমন: লুকানো বস্তু খোঁজার ধারণা) শেখে, অন্য গবেষকরা বলেন, পাইগেট শিশুদের প্রেরণার প্রয়োজনীয়তাকে অবহেলা করেছেন। বার্গার মনে করেন বাহ্যিক প্রেরণা ও শিক্ষাও গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলে।<ref>Berger, K.S. (1988). The developing person through the life span (2nd ed.). New York: Worth Publishers Ltd.</ref>
ক্যাগান বিশ্বাস করেন, শিশু যখন স্থান পরিবর্তনের পরও বস্তু স্পর্শ করতে পারে, এর পেছনের কারণ তাদের মস্তিষ্কের স্মৃতি ধারণক্ষমতার বৃদ্ধি, পাইগেটের ধারণার মতো নতুন কোনো জ্ঞানীয় গঠনের কারণে নয়।<ref>Berger, K.S. (1988). The developing person through the life span (2nd ed.). New York: Worth Publishers Ltd.</ref>
পাইগেটকে সমালোচনা করা হয়েছে শিশুদের সামর্থ্য নিয়ে অতিরিক্ত সাধারণায়নের জন্য। তিনি সিদ্ধান্তে এসেছিলেন, শিশুর সংবেদনশীলতা ও জ্ঞানীয় বিকাশ জন্মের প্রথম ছয় মাসেই ঘটে। যদিও পাইগেট বিশ্বাস করতেন, প্রতিটি শিশু নির্দিষ্ট ধাপে নির্দিষ্ট ক্রমে অগ্রসর হয়, হেউভেল-পানহুইজে বলেন, পাইগেটের তত্ত্ব ছোট শিশুদের সামর্থ্যকে অবমূল্যায়ন করে। উদাহরণস্বরূপ, তিনি দেখান যে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষকেরা যদি শুধুমাত্র পাইগেটের ধাপভিত্তিক তত্ত্বে বিশ্বাস করেন, তবে তারা শিশুদের প্রতীকের জ্ঞান, গণনার ক্রম ও গাণিতিক ক্রিয়ার সামর্থ্য সম্পর্কে ভুল ধারণা পোষণ করতে পারেন।<ref>Cross, C. (2009). The Early Childhood Workforce and Its Professional Development. In Mathematics learning in early childhood paths toward excellence and equity. Washington, DC: National Academies Press.</ref>
বার্গার আরও বলেন, শিশুদের পার্সেপচুয়াল শেখা (ধারণাগত শেখা) জন্মের আগেই শুরু হতে পারে।<ref>Berger, K.S. (1988). The developing person through the life span (2nd ed.). New York: Worth Publishers Ltd.</ref> যদিও একটি নির্দিষ্ট বয়স অনুযায়ী একটি শিশু নির্দিষ্ট ধাপে থাকবে, তবুও সব শিক্ষার্থী একরকম নয়। তাদের স্বতন্ত্র দক্ষতার ভিত্তিতে তারা হয়তো কোনো উচ্চতর বা নিম্নতর ধাপে অবস্থান করতে পারে।
উদাহরণস্বরূপ, গেলম্যান ও গ্যালিস্টেল দেখান যে, প্রিপারেশনাল ধাপে থাকা শিশুরাও বস্তু গণনার ক্ষেত্রে বিমূর্ত চিন্তা করতে পারে। এছাড়াও, পাইগেট শিশুদের আবেগ ও ব্যক্তিত্ব বিকাশ নিয়ে স্পষ্ট কোনো ধারণা দেননি। যদিও তিনি বুদ্ধিমত্তা ও স্মৃতিশক্তির বিকাশ মাপার কার্যকর পদ্ধতি ব্যাখ্যা করেছেন, তিনি সৃজনশীলতা ও সামাজিক যোগাযোগের গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো উপেক্ষা করেছেন।<ref>Papalia, D. E., Olds, S. W., and Feldman, R. D. (1998). Human development(7th ed.). Boston: McGraw-Hill.</ref>
ক্রিস্টিনা এর্নেলিং যুক্তি দেন যে, উন্নয়নের ধারা বোঝা সম্ভব যদি শিশুদের সঠিক পরিবেশে রাখা যায়। তার মতে, যেকোনো শেখার ধারণা বিশদ শিক্ষাতত্ত্বের উপর ভিত্তি করে হতে হবে এবং জ্ঞানীয় বিকাশ বোঝার জন্য ব্যক্তির সামাজিক ও সাংস্কৃতিক পটভূমির ভিন্নতা স্বীকৃতি দিতে হবে। অর্থাৎ, পাইগেট সংস্কৃতির প্রভাব উপেক্ষা করেছেন। কারণ তার গবেষণা ছিল পশ্চিমা দেশে, তাই তার তত্ত্ব হয়তো শুধু পশ্চিমা সমাজ ও সংস্কৃতিকে প্রতিনিধিত্ব করে।
পাইগেটের মতে, বৈজ্ঞানিক চিন্তা ও আনুষ্ঠানিক চিন্তাশক্তি নির্দিষ্ট ধাপে পৌঁছেই বিকাশ পায়। অন্যদিকে, এডওয়ার্ডস ও অন্যান্য গবেষকরা বলেন, পাইগেটের গবেষণায় নিয়ন্ত্রণ ও নমুনার সীমাবদ্ধতার কারণে তার গবেষণা অবিশ্বস্ত। তারা বলেন, অন্যান্য সংস্কৃতিতে সাধারণ ধাপের অপারেশনগুলো বেশি গুরুত্ব পেতে পারে।<ref>Edwards, L., Hopgood, J., Rosenberg, K., & Rush, K. (2000). Mental Development and Education. Retrieved April 25, 2009, from Flinders University</ref>
বার্গার পাইগেটের নির্দিষ্ট ধাপের বিপক্ষে যুক্তি দেন। তিনি মনে করেন, পাইগেট শিশুদের অভ্যন্তরীণ জ্ঞানের সন্ধানকে গুরুত্ব দিলেও, বংশগতি, সংস্কৃতি ও শিক্ষার মতো বাহ্যিক বিষয়গুলো উপেক্ষা করেছেন। তিনি বলেন, পাইগেটের জ্ঞানীয় বিকাশের ধাপগুলোকে বরং একটানা ধাপে ধাপে অগ্রগতির মতো দেখা উচিত, নির্দিষ্ট করে ভাগ না করে।<ref>Berger, K.S. (1988). The developing person through the life span (2nd ed.). New York: Worth Publishers Ltd.</ref>
পাইগেটের তত্ত্বের আরও সমালোচনা হয়েছে, কারণ তার সর্বশেষ ধাপে জ্ঞানীয় বিকাশ যথেষ্ট স্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করা হয়নি। তিনি মনে করতেন, ১১ থেকে ১৫ বছর বয়সের মধ্যে সবাই বিমূর্ত যুক্তি বিকাশে সক্ষম হয়। অন্যদিকে, প্যাপালিয়া ও অন্যান্যরা বিশ্বাস করেন, সবাই এই সময়ে আনুষ্ঠানিক চিন্তাশক্তি অর্জন করতে পারে না, এবং তাতে তারা অপরিণত নয়—বরং তাদের চিন্তাভাবনার পরিপক্বতার ধরণ ভিন্ন।<ref>Papalia, D.E., Olds, S.W., & Feldman, R.D. (1998). Human development (7th ed.). Boston: McGraw-Hill.</ref>
অতএব, জ্ঞানীয় বিকাশকে বরং একটি অনিয়মিত প্রক্রিয়া হিসেবে বিবেচনা করা উচিত, যেখানে প্রতিটি শিশু ধাপে ধাপে নিজস্ব গুণাবলি ও আচরণগত দক্ষতা অর্জন করে।<ref>Berger, K.S. (1988). The developing person through the life span (2nd ed.). New York: Worth Publishers Ltd.</ref>
=== জ্ঞানীয় ক্ষেত্র= ===
পাইগেটের পর থেকে জ্ঞানীয় তত্ত্ব ও গাণিতিক শিক্ষার মধ্যে সম্পর্ক অনেকদূর এগিয়েছে। অসংখ্য গবেষণায় দেখা গেছে, বিভিন্ন জ্ঞানীয় দক্ষতা ও গাণিতিক দক্ষতার মধ্যে সম্পর্ক রয়েছে। ১৯৭৮ সালেই গবেষকেরা মস্তিষ্ক-সম্পর্কিত আচরণ ও একাডেমিক দক্ষতার মধ্যে সম্পর্ক খুঁজে পান। রাউর্ক ও ফিনলেসন ৯-১৪ বছর বয়সী শেখার অসুবিধায় ভোগা শিশুদের নিয়ে গবেষণা করে দেখান, যেসব শিশুর অ্যারিথমেটিক দক্ষতা নেই, তাদের ডান মস্তিষ্কের গোলার অকার্যকারিতার মতো আচরণ দেখা যায়।<ref>Rourke, B. P., & Finlayson, M. A. J. (1978). Neuropsychological significance of variations in patterns of academic skills: Verbal and visual-spatial abilities. Journal of Abnormal Child Psychology, 6, 121–133.</ref>
সম্প্রতিকালে আরও সূক্ষ্ম জ্ঞানীয় দক্ষতা ও গণিতে ঘাটতির মধ্যকার সম্পর্ক চিহ্নিত হয়েছে।
২০০১ সালে হ্যানিচ, জর্ডান, কাপলান ও ডিক ২য় শ্রেণির শিক্ষার্থীদের গাণিতিক পারফরম্যান্স বিশ্লেষণ করেন।<ref>Hanich, L. B., Jordan, N. C., Kaplan, D., & Dick, J. (2001) Performance across different areas of mathematical cognition in children with learning disabilities. Journal of Educational Psychology, 93, 615–626.</ref>
তারা শিক্ষার্থীদের চারটি দলে ভাগ করেন: সাধারণভাবে সফল শিক্ষার্থী, শুধুমাত্র গণিতে দুর্বল, শুধুমাত্র পড়ায় দুর্বল, এবং উভয় বিষয়ে দুর্বল। প্রত্যেককে সাতটি গাণিতিক পরীক্ষায় অংশ নিতে বলা হয়:
ক) নির্দিষ্ট গণনা খ) গল্পভিত্তিক সমস্যা গ) আনুমানিক গণনা ঘ) স্থানীয় মান ঙ) গণনার নীতি চ) সংখ্যা স্মরণ ছ) লিখিত গণনা।
তারা দেখেন, যারা গণনা ও পড়া উভয় ক্ষেত্রেই দুর্বল, তারা গল্প সমস্যা ও প্রচলিত গণনায় দুর্বল। তবে যারা শুধু গণিতে দুর্বল, তারা শুধু প্রচলিত গণনায় দুর্বলতা দেখায়। এ থেকে গবেষকেরা সিদ্ধান্তে আসেন, গণিতে একাধিক জ্ঞানীয় ক্ষেত্র রয়েছে এবং প্রতিটি ক্ষেত্র মস্তিষ্কের ভিন্ন প্রক্রিয়া ব্যবহার করে।
ফুচস, ফুচস, স্টুয়েবিং, ফ্লেচার, হ্যামলেট ও ল্যাম্বার্ট (২০০৮) লক্ষ্য করেন, প্রচলিত গণনার সফলতা নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ কিছু পূর্বাভাসদাতা হচ্ছে: ক) কর্মরত স্মৃতি খ) দৃশ্য-স্থানিক কর্মরত স্মৃতি গ) মনোযোগ রেটিং ঘ) ধ্বনিতাত্ত্বিক প্রক্রিয়াকরণ ঙ) শব্দভাণ্ডারের জ্ঞান<ref>Fuchs, L. S., Fuchs, D., Stuebing, K., Fletcher, J.M., Hamlett, C. L. , & Lambert, W. (2008). Problem solving and computational skill: Are they shared or distinct aspects of mathematical cognition? Journal of Educational Psychology 100 (1), 30</ref>
তারা এক দীর্ঘমেয়াদি, বৃহৎ পরিসরের গবেষণায় দেখেন, গণনা ও সমস্যার সমাধান—এই দুইটি গণিতের আলাদা ক্ষেত্র হতে পারে। তারা শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করেন: গণনায় দক্ষতা, শব্দ-সমস্যা সমাধান, ধ্বনি প্রক্রিয়া, অ-মৌখিক সমস্যা সমাধান, কর্মরত স্মৃতি, মনোযোগী আচরণ, প্রক্রিয়ার গতি, এবং পাঠ দক্ষতা ইত্যাদিতে। তারা দেখতে পান, মনোযোগী আচরণ ও প্রক্রিয়ার গতি গণনার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখে।
এছাড়াও, তারা লক্ষ্য করেন, কর্মরত স্মৃতি, স্বল্পমেয়াদি স্মৃতি, অ-মৌখিক সমস্যা সমাধান (যেমন দৃশ্যের মাধ্যমে প্যাটার্ন সম্পূর্ণ করা), ধারণা গঠন, এবং ভাষা দক্ষতা (যার মধ্যে পড়াও অন্তর্ভুক্ত) সমস্যা সমাধানের পূর্বাভাসদাতা। ভাষা দক্ষতার ঘাটতি সমস্যার সমাধানে দুর্বল শিক্ষার্থীদের মধ্যে পার্থক্যকারী একটি উপাদান।
==== প্রত্যেক জ্ঞানীয় গণিত ক্ষেত্রের জন্য মস্তিষ্কের প্রক্রিয়া ====
{| class="wikitable"
!গণনার জ্ঞানীয় দক্ষতা
!সমস্যা সমাধানের জ্ঞানীয় দক্ষতা
|-
|গণনার সফলতার পূর্বাভাসদাতা:
|সমস্যা সমাধানের সফলতার পূর্বাভাসদাতা:
|-
|• কর্মরত স্মৃতি
# শ্রবণক্ষম কর্মরত স্মৃতি
# দৃশ্য-স্থানিক কর্মরত স্মৃতি
• মনোযোগ রেটিং • প্রক্রিয়ার গতি • ভাষা দক্ষতা
# ধ্বনিতাত্ত্বিক প্রক্রিয়াকরণ (ধ্বনি শনাক্ত ও পার্থক্য করতে পারা)
# শব্দভাণ্ডার জ্ঞান
|• কর্মরত স্মৃতি
# শ্রবণক্ষম কর্মরত স্মৃতি
• স্বল্পমেয়াদি স্মৃতি • অ-মৌখিক সমস্যা সমাধান (দৃশ্যমান প্যাটার্ন সম্পূর্ণ করার দক্ষতা) • ধারণা গঠন • ভাষা দক্ষতা
# প্রথম ভাষা, সাংস্কৃতিক পার্থক্য
# ধ্বনি, শব্দভাণ্ডার
|}
=== গণিত শেখার ক্ষেত্রে কার্যকর স্মৃতির গুরুত্ব ===
'''কার্যকর স্মৃতি''' হলো অস্থায়ীভাবে নতুন বা পূর্বে সঞ্চিত তথ্য ধারণ করার জন্য দায়ী সিস্টেম যা বর্তমান টাস্ক সমাপ্তির জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে। এর সামর্থ্য সীমিত। দুটি ধরণের কার্যকর স্মৃতি রয়েছে: শ্রুতি মেমরি এবং ভিজ্যুয়াল-স্থানিক মেমরি। কম্পিউটেশনাল সমস্যা সমাধানের জন্য ভিজ্যুয়াল-স্থানিক মেমরি গুরুত্বপূর্ণ বলে প্রমাণিত হয়েছে। শ্রুতি মেমরি সমস্ত গাণিতিক ডোমেনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে প্রমাণিত হয়েছে। কোনও ব্যক্তির কার্যকর স্মৃতির ক্ষমতার প্রকরণটি কত দ্রুত তথ্য প্রক্রিয়া করা হয়, কারও জ্ঞান বা অপ্রাসঙ্গিক জ্ঞানকে উপেক্ষা করার দক্ষতার কারণে হতে পারে। পরিকল্পনা, সংগঠন এবং নমনীয় চিন্তাভাবনার মতো এক্সিকিউটিভ প্রসেসিং ক্রিয়াকলাপগুলোও কার্যকর স্মৃতিকে প্রভাবিত করতে পারে।
অন্যদিকে, '''স্বল্পমেয়াদী স্মৃতি''' অস্থায়ীভাবে তথ্য সংরক্ষণের জন্য দায়ী যা অবশ্যই ব্যবহার করা উচিত, তবে অগত্যা ম্যানিপুলেট করা উচিত নয়। আবার, স্বল্পমেয়াদী স্মৃতির ক্ষমতা সীমিত, সম্ভবত মাত্র কয়েক সেকেন্ড। এখানেই আমরা টেলিফোন নম্বরের মতো তথ্য সংরক্ষণ করি যা ডায়াল করার সময় আমাদের কয়েক সেকেন্ডের জন্য মনে রাখতে হবে।
তাদের গবেষণায়, দ্য রিলেশনশিপ বিটুইন কার্যকর স্মৃতি অ্যান্ড ম্যাথমেটিক্যাল প্রবলেম সলভিং ইন চিলড্রেন অ্যাট রিস্ক অ্যান্ড নট রিস্ক ফর সিরিয়াস ম্যাথ ডিফিকাল্টিস (২০০৪), সোয়ানসন এবং বিবে-ফ্রাঙ্কেনবার্গার এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন যে সমস্যা সমাধানের সময় তথ্য সংহত করতে কার্যকর স্মৃতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তারা যুক্তি দেয় যে সমস্যা সমাধানের সময় তথ্য সংহত করার জন্য কার্যকর স্মৃতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কারণ "(ক) এটি সর্বশেষ ইনপুটটির সাথে সংযোগ স্থাপনের জন্য সম্প্রতি প্রক্রিয়াজাত তথ্য ধারণ করে এবং (খ) এটি সমস্যার সামগ্রিক উপস্থাপনা নির্মাণের জন্য তথ্যের সারাংশ বজায় রাখে।
এইচ লি সোয়ানসনের একটি নতুন গবেষণায় পরামর্শ দেওয়া হয়েছে যে কাজ করার মেমরির ক্ষমতা সমস্যা সমাধানের নির্ভুলতার উপর জ্ঞানীয় কৌশলগুলোর প্রভাবকে সংযত করে। কৌশল হস্তক্ষেপের ফলাফলগুলোতে কার্যকর স্মৃতি ক্ষমতা কী ভূমিকা পালন করে এবং শব্দ সমস্যা সমাধানের নির্ভুলতার উপর কৌশল নির্দেশের ভূমিকা নির্ধারণের জন্য লেখক একটি হস্তক্ষেপ অধ্যয়ন পরিচালনা করেছিলেন।
উভয় মৌখিক এবং চাক্ষুষ-স্থানিক কার্যকর স্মৃতি অধ্যয়ন গ্রুপের সমস্ত শিশুদের জন্য পরিমাপ করা হয়েছিল। এরপরে এলোমেলোভাবে নিয়ন্ত্রণ পরীক্ষার জন্য গণিতের প্রতিবন্ধী এবং ছাড়াই শিশুদের তিনটি চিকিত্সা গ্রুপে বিভক্ত করা হয়েছিল। গ্রুপ ১ সমস্যা সমাধানের জন্য মৌখিক কৌশল দেওয়া হয়েছিল; গ্রুপ ২ সমস্যা সমাধানের জন্য ভিজ্যুয়াল-স্থানিক কৌশল দেওয়া হয়েছিল; এবং গ্রুপ ৩ উভয় মৌখিক এবং চাক্ষুষ-স্থানিক কৌশলগুলোর সংমিশ্রণ দেওয়া হয়েছিল। প্রতিটি গ্রুপকে পাঠ পরিকল্পনাও সরবরাহ করা হয়েছিল যা নিয়মিতভাবে শব্দ সমস্যার মধ্যে অপ্রাসঙ্গিক তথ্য বৃদ্ধি করে। লেখকের অপ্রাসঙ্গিক তথ্য যুক্ত করার কৌশলটির উদ্দেশ্য ছিল শিশুদের কেবল প্রাসঙ্গিক তথ্যে অংশ নিতে শেখানো। এই কৌশলটি অন্যান্য বেশ কয়েকটি গবেষণা দ্বারা উত্সাহিত হয়েছিল যা দেখিয়েছিল যে প্রাসঙ্গিক এবং অপ্রাসঙ্গিক তথ্যের মধ্যে পার্থক্য করতে শেখা গণিতের অক্ষমতার ঝুঁকিতে থাকা শিক্ষার্থীদের জন্য সমস্যা সমাধানের নির্ভুলতার সাথে উল্লেখযোগ্যভাবে সম্পর্কিত।
অধ্যয়নের ফলাফলগুলো এই দৃষ্টিভঙ্গিকে সমর্থন করে যে কৌশল নির্দেশনা সমাধানের নির্ভুলতাকে সহজতর করে। যাইহোক, এটি অবশ্যই লক্ষ করা উচিত যে কৌশল নির্দেশের প্রভাবগুলো কার্যকর স্মৃতি ক্ষমতার পৃথক পার্থক্য দ্বারা সংযত হয়েছিল। যেসব শিশুর স্মৃতিশক্তি কম ছিল, তারা আশানুরূপ সুবিধা পায়নি। এটি উচ্চতর কাজের মেমরি ক্ষমতা সহ ছিল, উভয় গণিত প্রতিবন্ধী সহ এবং ছাড়াই, যারা শেখার কৌশলগুলো থেকে সবচেয়ে বেশি উপকৃত হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। গণিত প্রতিবন্ধী সমস্ত শিশু, উচ্চ বা নিম্ন কাজের মেমরির ক্ষমতা রাখে কিনা, ভিজ্যুয়াল তথ্য ব্যবহার করে এমন কৌশলগুলো থেকে উপকৃত হয়েছিল, তবে কম কাজের মেমরির ক্ষমতাযুক্ত শিশুদের মৌখিক এবং ভিজ্যুয়াল উভয় কৌশলগুলোর সংমিশ্রণ প্রয়োজন। পরিশেষে, ফলাফলগুলো সুপারিশ করে, একাডেমিক কাজগুলো যা নিয়ন্ত্রিত মনোযোগের জন্য কার্যকর স্মৃতির সাথে সম্পর্কিত প্রক্রিয়াগুলোকে প্রশিক্ষণ দেয়, প্রকৃতপক্ষে, পরবর্তী কাজের মেমরির কর্মক্ষমতাকে প্রভাবিত করতে পারে।
এই গবেষণার প্রভাবগুলো সুপারিশ করবে যে গণিত প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের কার্যকর স্মৃতি ক্ষমতার জন্য মূল্যায়ন করা হবে এবং তারপরে তাদের স্বতন্ত্র উদ্বেগগুলো মোকাবেলার কৌশলগুলো তাদের কাজের মেমরির ক্ষমতার ভিত্তিতে নির্ধারণ করা হবে।
== গণিত শেখা এবং শেখানোর উপর প্রভাব ফেলে এমন উপাদান==
=== স্বতন্ত্র পার্থক্য ===
প্রতিটি শিক্ষার্থীর নিজস্ব স্বতন্ত্র দক্ষতা, পটভূমি জ্ঞান, সংস্কৃতি এবং আগ্রহ রয়েছে। এই দিকগুলো গণিত শেখার এবং শেখানোর উপর প্রভাব ফেলতে পারে কারণ নির্দেশমূলক কৌশলগুলো সেই অনুযায়ী সংশোধন করা উচিত।
==== দক্ষতার পার্থক্য ====
সমস্ত শিক্ষার্থীর নিজস্ব শক্তি এবং দুর্বলতা রয়েছে। তারা গণিতে কিছু বিষয়ে দক্ষ হতে পারে তবে অন্য ক্ষেত্রে অদক্ষ হতে পারে। শিক্ষার্থীদের কী দক্ষতা রয়েছে তা শিক্ষকদের জানা গুরুত্বপূর্ণ কারণ তারা শিক্ষার্থীদের দুর্বলতাগুলো উন্নত করতে সহায়তা করার জন্য এই দক্ষতাগুলো ব্যবহার করতে পারে। শিক্ষকরা যদি শিক্ষার্থীদের শক্তি এবং দুর্বলতাগুলো স্বীকৃতি না দেন তবে তারা শিক্ষার্থীদের চ্যালেঞ্জ দিতে পারেন। শিক্ষার্থীরা প্রদত্ত কাজে অসুবিধার মুখোমুখি হবে কারণ তাদের প্রয়োজনীয় দক্ষতা নেই। ফলস্বরূপ, এটি এমনকি শিক্ষার্থীদের স্ব-কার্যকারিতাকে প্রভাবিত করতে পারে এবং যখন শিক্ষার্থীরা কাজটি সম্পাদন করতে পারে না তখন শিখে নেওয়া অসহায়ত্ব তৈরি করতে পারে। তাই শিক্ষার্থীরা কোন বিষয়ে দক্ষ তা যদি শিক্ষকরা জানেন তাহলে শিক্ষার্থীদের গণিতের নতুন জ্ঞান শিখতে সমস্যা হবে না। গাণিতিক সমস্যাগুলোর জন্য সাধারণ পাটিগণিত, বীজগণিত এবং যুক্তি যুক্তির মতো প্রাক-দক্ষতার একটি সেট প্রয়োজন। উদাহরণস্বরূপ, শব্দ সমস্যা সমাধানের জন্য সমস্যার মানসিক উপস্থাপনা এবং শব্দ সমস্যাকে গাণিতিক সমীকরণে রূপান্তর করার জন্য সহজ পাটিগণিত প্রয়োজন। ফলে যেসব শিক্ষার্থী গাণিতিক সমীকরণ প্রণয়নে দক্ষ নয়, তারা শব্দ সমস্যার সমাধান করতে পারবে না। শিক্ষকদের শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন প্রাক-দক্ষতা অনুসারে তাদের শিক্ষামূলক অনুশীলনগুলো সামঞ্জস্য করা উচিত কারণ এই প্রাক-দক্ষতাগুলো গাণিতিক সমস্যা সমাধানে একটি বড় ভূমিকা পালন করে। যখন শিক্ষার্থীরা গণিতে আরও ধারণাগত এবং পদ্ধতিগত দক্ষতা অর্জন করে, তখন তারা গণিত শেখার ক্ষেত্রে আরও দক্ষ এবং দক্ষ হয়ে ওঠে। আধুনিক উচ্চ বিদ্যালয়গুলোতে, গণিতের কোর্সে বিভিন্ন স্তর রয়েছে যেমন শিক্ষানবিস, নীতি এবং অগ্রিম স্তর। শিক্ষার্থীদের তাদের গাণিতিক দক্ষতার স্তরের সেট অনুযায়ী স্থাপন করা হয়। অন্যথায়, তারা কোন স্তরে থাকতে চায় তা চয়ন করতে পারে। এই ক্ষেত্রে, এটি গুরুত্বপূর্ণ যে শিক্ষকরা নির্বাচিত স্তরে উপযুক্ত কিনা তা দেখার জন্য শিক্ষার্থীদের পারফরম্যান্সকে সমর্থন এবং মূল্যায়ন করুন। শিক্ষার্থীরা গণিতের ক্লাসে থাকতে চায় না যা খুব কঠিন অন্যথায় এটি খুব অপ্রতিরোধ্য হবে, না এটি খুব সহজ হওয়া উচিত নয় অন্যথায় এটি খুব বিরক্তিকর হবে। সুতরাং, শিক্ষার্থীদের কী দক্ষতা রয়েছে তা জানার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা নতুন গাণিতিক জ্ঞান অর্জন করতে পারে।
==== পটভূমি জ্ঞানের পার্থক্য ====
শিক্ষার্থীদের গণিতের জ্ঞান তাদের পটভূমি জ্ঞান থেকে প্রভাবিত হতে পারে। প্রকৃতপক্ষে, সমস্ত শিক্ষার্থীর বিভিন্ন পটভূমি জ্ঞান রয়েছে কারণ তাদের সকলের সামাজিক জগতে বিভিন্ন অভিজ্ঞতা রয়েছে। এই বাস্তব জীবনের অভিজ্ঞতাগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কারণ তারা এই পর্যবেক্ষণগুলো থেকে গণিতের প্রতীকগুলোর কার্যকারিতা সম্পর্কে শিখে। উদাহরণস্বরূপ, শিক্ষার্থীরা মুদি কেনাকাটা থেকে সহজ পাটিগণিত শিখতে পারে যার মধ্যে অর্থ নিয়ে কাজ করা জড়িত। শিক্ষার্থীরা কীভাবে পণ্যগুলোর মোট ব্যয় অনুমান করতে পারে এবং তাদের কতটা পরিবর্তন ফিরে পাওয়া উচিত তা শিখতে পারে। অতএব, যখন গাণিতিক ধারণাগুলো তাদের পটভূমি জ্ঞানের সাথে সম্পর্কিত এমনভাবে শেখানো হয়, তখন শিক্ষার্থীরা এই ধারণাগুলো আরও সহজে ব্যাখ্যা করতে সক্ষম হবে। উপরন্তু, শিক্ষার্থীরা আরও অনুপ্রাণিত এবং নিযুক্ত হয় যখন তাদের গণিতের শিক্ষা তাদের বাস্তব-বিশ্বের পরিস্থিতির সাথে সম্পর্কিত হয়। এটি কারণ তারা অর্জিত শিক্ষাগুলো খুব অর্থবহ এবং গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করে কারণ তারা তাদের দৈনন্দিন জীবনে প্রযোজ্য। উদাহরণস্বরূপ, অনেক শিক্ষার্থী পাঠ্যপুস্তক থেকে গণিত শেখা বিরক্তিকর বা কঠিন বলে মনে করতে পারে। যাইহোক, যদি গণিতগুলো বাস্তব জীবনের সমস্যাগুলো সমাধান করার জন্য শেখানো হয় যেমন ব্যাংকে প্রাপ্ত সুদ, জীবনযাত্রার ব্যয়ের মোট ব্যয় বা জুজু খেলায় জয়ের সম্ভাবনা গণনা করা। ফলস্বরূপ, শিক্ষার্থীরা গাণিতিক প্রতীক এবং ধারণাগুলো সম্পর্কে আরও ভাল ধারণা পাবে যখন এই শিক্ষাগুলো তাদের পূর্ব অভিজ্ঞতার সাথে সম্পর্কিত হয়। উপরন্তু, চ্যালেঞ্জিং গাণিতিক সমস্যাগুলো কেবল গণিতের পটভূমি জ্ঞান নয়, পদার্থবিজ্ঞানের পদ বা রসায়ন পদগুলোর মতো অন্যান্য বিষয়ের কিছু জ্ঞানও প্রয়োজন। গাণিতিক শব্দ সমস্যাগুলো সমাধান করার আগে পাঠ্যের অর্থ সম্পর্কে ভাল বোঝার প্রয়োজন যার অর্থ শিক্ষার্থীদের পাঠ্যটি বোঝার জন্য তাদের ভাষা জ্ঞান ব্যবহার করতে সক্ষম হওয়া দরকার। ফলস্বরূপ, শিক্ষার্থীদের পটভূমি জ্ঞান গণিতে তাদের শেখার উপর প্রভাব ফেলতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক গণিত কোর্সের জন্য পূর্বশর্ত কোর্সের প্রয়োজন হয় কারণ অ্যাডভান্স লেভেলের গণিত কোর্সের জন্য কিছু মৌলিক গাণিতিক জ্ঞান বোঝার প্রয়োজন। এই পটভূমি জ্ঞান ছাড়া, শিক্ষার্থীদের নতুন গণিত উপকরণ বুঝতে অসুবিধা হবে।
==== স্বার্থের পার্থক্য ====
একেকজনের একেক রকম স্বার্থ থাকে। কিছু শিক্ষার্থী গণিত উপভোগ করতে পারে কারণ তারা শক্তিশালী গাণিতিক দক্ষতার সাথে অল্প বয়সে জন্মগ্রহণ করেছিল বা শেখানো হয়েছিল, অন্য শিক্ষার্থীরা গণিতকে ঘৃণা করতে পারে কারণ তারা সর্বদা গণিতের সাথে ব্যর্থতার মুখোমুখি হয় যা তাদের শেখা চালিয়ে যেতে নিরুৎসাহিত করে। গণিতে আগ্রহ থাকলে শিক্ষার্থীদের গণিত শেখার অনুপ্রেরণা বাড়তে পারে। এই ধারণাটি একটি '''অন্তর্নিহিত প্রেরণা''' কারণ শিক্ষার্থীরা তাদের নিজস্ব আগ্রহের বাইরে গণিত অধ্যয়ন করতে চায়। ফলস্বরূপ, তারা কাজগুলোতে আরও বেশি জড়িত এবং চ্যালেঞ্জটি সমাধানের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করবে। শিক্ষার্থীদের আগ্রহগুলো তাদের আত্ম-উপলব্ধি, তাদের ক্ষমতা এবং তাদের একাডেমিক কৃতিত্বের উপর তাদের বিশ্বাসের সাথে সম্পর্কিত। সুতরাং, তাদের একাডেমিক কর্মক্ষমতা বাড়ানোর জন্য শিক্ষার্থীদের জন্য গণিতে আগ্রহ বিকাশ করা গুরুত্বপূর্ণ। প্রকৃতপক্ষে, গণিতের প্রতি আগ্রহ বাড়ানোর অনেক উপায় রয়েছে যেমন পরিবার, সহপাঠী এবং শিক্ষক। পরিবার বাড়িতে গণিতে শিক্ষার্থীদের সমর্থন এবং উত্সাহ দেখাতে পারে যা গণিতে শিক্ষার্থীদের মান বাড়িয়ে তুলতে পারে। শিক্ষার্থীদের সাধারণত সামাজিক তুলনা থাকে এবং অন্যান্য সহপাঠীরা কী করছে তা অনুসরণ করতে পছন্দ করে। তাই শিক্ষার্থীদের মধ্যে সহপাঠীর প্রভাব একটি বড় ভূমিকা পালন করে। শিক্ষার্থীরা যখন তাদের সহপাঠীদের গণিতের সমস্যা বা সুডোকু বা ধাঁধার মতো খেলা উপভোগ করতে দেখবে, তখন শিক্ষার্থীরাও সমাধান করতে আগ্রহী হবে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, শিক্ষকরা তাদের শিক্ষাদানে উত্সাহ দেখানোর সময় শ্রেণিকক্ষের সেটিংয়ে মজাদার এবং ইন্টারেক্টিভ গেমগুলো সংগঠিত করতে পারেন। এটি শিক্ষার্থীদের এমন একটি বিষয় শেখার আগ্রহ বাড়িয়ে তুলবে যা তারা উপভোগ করে না। ফলস্বরূপ, গণিতে আগ্রহ বাড়ানোর জন্য শিক্ষকদের শিক্ষার্থীদের শেখার জন্য একটি উপভোগ্য পরিবেশ তৈরি করা গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষার্থীরা গণিতকে ঘৃণা করলে শিক্ষার্থীদের গণিত শেখানো খুব কঠিন হবে। তারা উপকরণগুলো শিখতে চাইবে না এবং কেবল অধ্যয়ন করবে কারণ তাদের তা করতে হবে।
==== সাংস্কৃতিক পার্থক্য ====
বিভিন্ন সাংস্কৃতিক পটভূমি সহ শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন একাডেমিক কৃতিত্বের স্তর এবং বিভিন্ন লক্ষ্য রয়েছে। এছাড়াও, গণিতের উপর তাদের মান তাদের সংস্কৃতির উপর নির্ভর করে ভিন্ন হতে পারে। যখন একটি সংস্কৃতি গণিতের মতো একটি নির্দিষ্ট বিষয়কে মূল্য দেয়, তখন এই শিশুদের স্কুলে এবং বাড়িতে অল্প বয়সে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। অতএব, এই ছাত্রদের গণিত কর্মক্ষমতা একটি উচ্চ দক্ষতা থাকবে। যে শিক্ষার্থীরা নিয়মিত গণিত অধ্যয়ন করে তাদের গাণিতিক সমস্যাগুলোর পর্যাপ্ত অনুশীলন থাকার কারণে উচ্চ স্তরের স্বয়ংক্রিয়তা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। তারা উপযুক্ত কৌশল নির্বাচন করতে এবং গাণিতিক সমস্যাটি আরও দক্ষতার সাথে সমাধান করতে সক্ষম হবে। বিপরীতভাবে, যখন একটি সংস্কৃতি বিশ্বাস করে না যে গণিত গুরুত্বপূর্ণ, তখন এই শিশুদের জোরালোভাবে শেখানো হবে না এবং নিম্ন দক্ষতা স্তরে সঞ্চালিত হবে। কোনও বিষয় ক্ষেত্রে দক্ষতা অর্জনের জন্য, স্কুলে এবং বাড়িতে উভয়ই অনুশীলন করা গুরুত্বপূর্ণ। যে শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের সহায়তায় স্কুলে কেবল তাদের গণিত দক্ষতা অনুশীলন করে তাদের পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ নেই কারণ তাদের বাড়িতে সক্রিয়ভাবে এবং নিবিড়ভাবে অধ্যয়ন করতে উত্সাহিত করা হয় না। উপরন্তু, উচ্চ মান, প্রচেষ্টা এবং ইতিবাচক মনোভাবের মতো পারফরম্যান্সের উপর ইতিবাচক বিশ্বাস রাখে এমন সংস্কৃতিগুলো উচ্চ একাডেমিক দক্ষতার স্তরের দিকে পরিচালিত করতে পারে। বিভিন্ন সংস্কৃতির বিভিন্ন ভাষা রয়েছে। সব উপায়ে, একটি গাণিতিক সমস্যা তাদের শব্দ করার পদ্ধতি এছাড়াও ভিন্ন হতে পারে। গবেষণা দেখায় যে ইন্দো-ইউরোপীয় সংখ্যা ভাষার তুলনায় চীনা সংখ্যা ভাষার কাঠামো (যেমন, ১৫ দশ পাঁচ) শিখতে সহজ যা ইংরেজি (উদাঃ, ১২ বারো এবং -কিশোর শব্দ প্রায়ই বেমানান)। ইংরেজির তুলনায় চীনা সংখ্যার ভাষা উচ্চারণ করা প্রায়শই দ্রুত হয় যা শিক্ষার্থীদের গণিতের দক্ষতাকে প্রভাবিত করে। সুতরাং, চীনারা এই সংখ্যাগুলো স্বল্পমেয়াদী স্মৃতিতে দীর্ঘকাল ধরে রাখার ক্ষমতা রাখে, বিশেষত বহু-অঙ্কের সংখ্যার সাথে জটিল গাণিতিক সমস্যাগুলোতে। শিক্ষামূলক অনুশীলনগুলো ডিজাইন করার সময় সাংস্কৃতিক পার্থক্যগুলো বিবেচনায় নেওয়া উচিত কারণ বিভিন্ন শিক্ষার্থীর বিভিন্ন সংস্কৃতি রয়েছে যা তারা গাণিতিক সমস্যাগুলোর সাথে কীভাবে যোগাযোগ করে তা প্রভাবিত করতে পারে।
=== গণিতে স্ব-কার্যকারিতা ===
গণিতে শিক্ষার্থীদের স্ব-কার্যকারিতা হলো গণিতের প্রশ্নগুলো সমাধান করার দক্ষতার প্রতি তাদের বিশ্বাস। উচ্চতর স্তরের স্ব-কার্যকারিতাযুক্ত শিক্ষার্থীরা বিশ্বাস করে যে তারা গণিতের প্রশ্নগুলো সমাধান করতে সক্ষম, যা তারা গণিত সম্পর্কিত কাজগুলোতে জড়িত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি এবং গণিতে উচ্চতর একাডেমিক পারফরম্যান্স রয়েছে। অন্যদিকে, কম স্ব-কার্যকারিতাযুক্ত শিক্ষার্থীরা বিশ্বাস করে যে তারা গণিতের প্রশ্নগুলো সমাধান করতে সক্ষম নয়, যা তারা গণিতের প্রশ্নগুলো সমাধানে আরও উদ্বিগ্ন বোধ করবে এবং গণিতে কম একাডেমিক পারফরম্যান্স থাকবে। অতএব, গণিতে শিক্ষার্থীদের স্ব-কার্যকারিতা গণিতে তাদের ব্যস্ততা এবং একাডেমিক পারফরম্যান্সের সাথে দৃঢ় সংযোগ রয়েছে।
==== গণিতে স্ব-কার্যকারিতার প্রভাব ====
স্ব-কার্যকারিতা শিক্ষার্থীরা গণিতে তাদের শেখার বিষয়ে যেভাবে চিন্তাভাবনা করে, বোঝে এবং অনুভব করে তা প্রভাবিত করতে পারে। উচ্চ স্ব-কার্যকারিতা সহ শিক্ষার্থীরা বিশ্বাস করে যে তাদের গণিতে ভাল সম্পাদন করার ক্ষমতা এবং দক্ষতা রয়েছে। তারা গণিত সমাধানে সক্ষম এই চিন্তাভাবনা করে শিক্ষার্থীরা গণিত শিখতে এবং অধ্যয়ন করতে আরও অনুপ্রাণিত হবে। এটি করার মাধ্যমে, শিক্ষার্থীরা স্ব-পরিপূর্ণ ভবিষ্যদ্বাণীর মুখোমুখি হবে যা গণিতে তাদের দক্ষতার বিশ্বাসের সাথে খাপ খায় যখন তারা অধ্যয়নের পরে তাদের গণিত উন্নত হয়। অন্যদিকে, গণিতে কম স্ব-কার্যকারিতা সহ শিক্ষার্থীরা বিশ্বাস করবে যে তাদের গণিতে ভাল পারফরম্যান্স করার ক্ষমতা নেই। বিশ্বাসের সাথে, শিক্ষার্থীদের এই চিন্তাভাবনা থাকতে পারে যে তারা খুব চেষ্টা করেও গণিত অর্জন করতে পারে না। তাই গণিতের প্রশ্ন করতে তারা কম উৎসাহিত হয়। এছাড়াও, গণিতে কম স্ব-কার্যকারিতা সহ শিক্ষার্থীরা সঠিক উত্তর পাওয়ার ক্ষমতা নেই ভেবে কয়েকটি প্রশ্নের পরীক্ষার পরে সহজেই হাল ছেড়ে দিতে পারে। যখন তারা এটি করে, তখন এটি গণিতে তাদের অক্ষমতার বিশ্বাসকে শক্তিশালী করে। শিক্ষার্থী স্ব-পরিপূর্ণ ভবিষ্যদ্বাণীর মুখোমুখি হবে যা তারা এমনভাবে কাজ করে যা গণিতে তাদের কম দক্ষতার প্রতি তাদের বিশ্বাস পূরণ করে।
==== শিক্ষার্থীদের স্ব-কার্যকারিতা মূল্যায়ন ====
শিক্ষার্থীদের স্ব-কার্যকারিতা মূল্যায়ন করা এবং তারা গণিতে কোনও নির্দিষ্ট বিষয় শিখতে আত্মবিশ্বাসী কিনা তা জানা গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি তাদের কর্মক্ষমতাকে প্রভাবিত করতে পারে। শিক্ষার্থীদের স্ব-কার্যকারিতা মূল্যায়নের অন্যতম উপায় হলো প্রথম ব্যক্তির বিবৃতির একটি তালিকা তৈরি করা এবং প্রতিটি বিবৃতির জন্য শিক্ষার্থীদের তাদের স্ব-কার্যকারিতা রেট করা। প্রথমত, শিক্ষকদের সেই বিষয়টিকে চিহ্নিত করতে হবে যার উপর তারা তাদের শিক্ষার্থীদের স্ব-কার্যকারিতা মূল্যায়ন করতে চান। উদাহরণস্বরূপ, যদি বিষয়টি পৃষ্ঠের ক্ষেত্রফল সন্ধানে থাকে তবে শিক্ষকরা সেই বিষয়ে প্রথম ব্যক্তির বিবৃতিগুলোর একটি তালিকা তৈরি করেন। তারপরে শিক্ষকরা ০-১০০ (০ যা বিবৃতিটি মিথ্যা এবং ১০০ যা বিবৃতিটি সত্য) থেকে স্কেল রেঞ্জ ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের বিবৃতিটি রেট করতে পারেন। নিম্নলিখিত চার্টটি পৃষ্ঠের ক্ষেত্রফলের বিষয়ে একজন শিক্ষার্থীর স্ব-কার্যকারিতা রেটিংয়ের একটি উদাহরণ।
{| class="wikitable"
!রেট (০-১০০)
!বিবরণ
|-
|৮০
|আমি জানি যে সমান্তরালগ্রামের জন্য পৃষ্ঠের ক্ষেত্রফল সন্ধান করার জন্য আমার কী তথ্য দরকার।
|-
|১০০
|দৈর্ঘ্য এবং প্রস্থ দেওয়া হলে আমি একটি আয়তক্ষেত্রের পৃষ্ঠের ক্ষেত্রফল খুঁজে পেতে পারি।
|-
|৬০
|আমি ট্র্যাপিজয়েডের পৃষ্ঠের ক্ষেত্রফলের জন্য সমীকরণটি লিখতে পারি।
|-
|৫০
|আমি আমার সহপাঠীকে ব্যাখ্যা করতে পারি কেন একটি ত্রিভুজের পৃষ্ঠের ক্ষেত্রফলের সমীকরণ bxh ÷২।
|-
|৯০
|আমি ৪ সেন্টিমিটার দৈর্ঘ্যের একটি বর্গক্ষেত্রের জন্য ক্ষেত্রফল গণনা করতে পারি।
|}
শিক্ষার্থী বিবৃতিটি রেট দেওয়ার পরে, শিক্ষক স্কোরগুলো যুক্ত করে সেই বিষয়ে শিক্ষার্থী কতটা আত্মবিশ্বাসী তা অনুমান করতে পারেন। উপরের উদাহরণের জন্য ৮০ + ১০০ + ৬০ + ৫০ + ৯০ হবে। স্কোর থেকে ওই বিষয়ে শিক্ষার্থীর স্ব-কার্যকারিতা সম্পর্কে শিক্ষকের ধারণা থাকবে। তদুপরি, শিক্ষক কোনও নির্দিষ্ট বিষয়ের জন্য শিক্ষার্থীর স্ব-কার্যকারিতাকে গণিতে তাদের সাধারণ কার্যকারিতার সাথে তুলনা করতে পারেন। এছাড়াও, শিক্ষার্থীদের স্ব-কার্যকারিতা মূল্যায়ন করার সময়, শিক্ষকদের মনে রাখা উচিত যে শিক্ষার্থীদের স্ব-কার্যকারিতা তাদের শেখার অনুপ্রেরণা এবং শেখার আচরণকে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, শিক্ষকদের যথাক্রমে শিক্ষার্থীদের স্ব-কার্যকারিতা বৃদ্ধি এবং তাদের স্তরের সাথে মিলিত করার জন্য তাদের শিক্ষার নির্দেশাবলী সামঞ্জস্য করা উচিত।
==== শিক্ষার্থীদের আত্ম-কার্যকারিতার বিকাশ ====
বান্দুরা স্ব-কার্যকারিতা বিকাশে চারটি প্রধান প্রভাব প্রস্তাব করেছে। প্রথম প্রভাবটি হলো শিক্ষার্থীদের দক্ষতা অভিজ্ঞতা। উদাহরণস্বরূপ, যখন শিক্ষার্থীরা একটি গণিত পরীক্ষায় সফল হয়, তখন গণিতের সেই ক্ষেত্রে তাদের আত্মবিশ্বাসের স্তর বাড়বে। এটি শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের পারফরম্যান্সের উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে, যা শিক্ষার্থীরা আরও আত্মবিশ্বাসী হবে যে অনুরূপ প্রশ্নের মুখোমুখি হওয়ার সময় তাদের এটি সমাধান করার ক্ষমতা থাকতে হবে। দ্বিতীয় প্রভাবটি হলো শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন অভিজ্ঞতা। অন্যদের, বিশেষ করে সমবয়সীদের অনুরূপ ক্ষমতা পর্যবেক্ষণ করে, একটি নির্দিষ্ট কাজ করার ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের স্ব-কার্যকারিতা বৃদ্ধি পাবে। যখন শিক্ষক গণিতে একটি নতুন বিষয় প্রবর্তন করেন, যা শিক্ষার্থীরা সেই বিষয়ের জন্য কঠিন স্তর সম্পর্কে অনিশ্চিত, তখন তাদের সহকর্মীদের প্রশ্নগুলো সম্পূর্ণ করা পর্যবেক্ষণ করে, নতুন বিষয়ে প্রশ্নগুলো বোঝার এবং সম্পূর্ণ করার ক্ষেত্রে তাদের আত্মবিশ্বাসের স্তর বাড়বে। তদুপরি, গণিতবিদদের গণিত করার উপর একটি ডকুমেন্টারি দেখলেও শিক্ষার্থীদের গণিতের স্ব-কার্যকারিতা উন্নত হয়। তৃতীয় প্রভাবটি হল সামাজিক প্ররোচনা। এটি এমন লোকদের কাছ থেকে একটি ইতিবাচক বাক্যাংশ হতে পারে যার সাথে শিক্ষার্থীরা যোগাযোগ করে, যেমন তাদের পিতামাতা, সহকর্মী বা শিক্ষক। শিক্ষকের কাছ থেকে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া, যেমন "আপনি বীজগণিতের প্রশ্ন সমাধানে আরও ভাল হচ্ছেন" শিক্ষার্থীদের বীজগণিত প্রশ্ন সমাধানে আত্মবিশ্বাসী বাড়িয়ে তুলবে। চতুর্থ প্রভাব হচ্ছে শিক্ষার্থীদের মানসিক অবস্থা। এটি একটি পরিস্থিতির প্রতি শিক্ষার্থীদের মানসিক প্রতিক্রিয়া বোঝায়। উদাহরণস্বরূপ, একজন শিক্ষার্থী মনে করতে পারে যে গণিত পরীক্ষায় তার ব্যর্থতা তার গণিতের অক্ষমতার কারণে, যা বাস্তবে তার উদ্বেগের ফলাফল। এক্ষেত্রে শিক্ষার্থী তার যোগ্যতার ভুল বিচার করে গণিতের প্রতি তার আত্মবিশ্বাস কমিয়ে দেয়। আরেকটি ঘটনা হতে পারে গণিত পরীক্ষায় তার সফল পারফরম্যান্সকে তার ভাল পারফরম্যান্সের দক্ষতার পরিবর্তে ভাগ্য হিসাবে দেখা। এক্ষেত্রে শিক্ষার্থী গণিতে তার আত্মবিশ্বাস গড়ে তোলার সুযোগ হারান। অতএব, ইতিবাচক এবং নেতিবাচক উভয় পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের উপলব্ধি তাদের স্ব-কার্যকারিতা তৈরিতে প্রভাব ফেলে। এই রুটে শিক্ষার্থীদের স্ব-কার্যকারিতা বাড়ানোর উপায় হলো তাদের গণিতে তাদের সত্যিকারের দক্ষতার স্বীকৃতি দেওয়া এবং তাদের দক্ষতার ইতিবাচক অনুভূতি বাড়ানো।
উশার শিক্ষার্থী, পিতামাতা এবং শিক্ষকদের সাক্ষাত্কার নিয়ে গণিতে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের স্ব-কার্যকারিতা বিকাশের চারটি ভিন্ন উত্স পরিমাপের বিষয়ে একটি গবেষণা পরিচালনা করেছেন। গবেষণার ফলাফলটি স্ব-কার্যকারিতা বিকাশের বিষয়ে বান্দুরার প্রস্তাবিত ধারণার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ, যা দক্ষতার পারফরম্যান্স, ভিকারিয়াস অভিজ্ঞতা, সামাজিক প্ররোচনা এবং শারীরবৃত্তীয় রাষ্ট্রগুলোর সাথে গণিতের প্রতি শিক্ষার্থীদের আস্থার সাথে সংযোগ রয়েছে। মাস্টারি পারফরম্যান্সের জন্য, এটি স্ব-কার্যকারিতা বিকাশের শিক্ষার্থীদের সাথে একটি দৃঢ় সম্পর্ক দেখিয়েছিল। একটি কৌশল যা প্রস্তাব করেছিল যে গণিত শিক্ষক মাস্টারি পারফরম্যান্সের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর জন্য ব্যবহার করতে পারেন তা হলো "এমনভাবে নির্দেশনা সরবরাহ করা যা আয়ত্তের অভিজ্ঞতার সুযোগকে সর্বাধিক করে তোলে, তা যতই ছোট হোক না কেন। উদাহরণস্বরূপ, একজন শিক্ষক শিক্ষার্থীদের অ্যালগরিদম এবং বীজগণিতের মতো গণিতের বিষয়ে সংশোধন কৌশল শেখাতে পারেন। একটি উদাহরণ প্রশ্ন ১৮ ÷ ৬ =?। শিক্ষক বিভাজক (৩ x ৬ = ১৮) দ্বারা ভাগফলকে গুণ করে উত্তরটি স্ব-পরীক্ষা করার জন্য শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ দিতে পারেন এবং যদি উত্তরটি লভ্যাংশের মতো একই হয় তবে এটি সঠিক। যে শিক্ষার্থীরা সংশোধন কৌশলটি শেখানো হয়েছে এবং ব্যবহার করেছে তারা গণিতে তাদের দক্ষতা বৃদ্ধি করেছে [ শিক্ষার্থীদের জন্য চ্যালেঞ্জিং অ্যাসাইনমেন্ট বরাদ্দ করুন যা এটি সম্পন্ন করার দক্ষতার মধ্যে রয়েছে যা শিক্ষার্থীদের দক্ষতার অভিজ্ঞতাও বাড়িয়ে তুলবে।
উপরন্তু, উশারের গবেষণায় কিছু প্রমাণ দেখিয়েছে যে চারটি উত্স একে অপরের সাথেও সংযোগ রয়েছে। বিচিত্র অভিজ্ঞতার জন্য, অনুসন্ধানটি দেখিয়েছে যে পিতামাতা এবং গণিতের সাথে শিক্ষকদের অভিজ্ঞতা উভয়েরই শিক্ষার্থীদের গণিতের আত্মবিশ্বাসের সাথে সংযোগ রয়েছে। গবেষণার বাধ্যতামূলক ফলাফলগুলোর মধ্যে একটি হলো একজন শিক্ষার্থী গণিতে তার পিতামাতার ব্যর্থতার প্রমাণ হিসাবে ব্যাখ্যা করেছিল যে সে আলাদা হতে পারে। এটি দেখায় যে কেবল সফল অভিজ্ঞতাই নয়, গণিতের সাথে ব্যর্থ অভিজ্ঞতার সাথে শিক্ষার্থীদের গণিতের আত্মবিশ্বাসের সংযোগ থাকতে পারে। অনুসন্ধানটি আরও দেখায় যে শিক্ষার্থীদের শারীরবৃত্তীয় অবস্থাগুলো তারা কীভাবে অন্যের অভিজ্ঞতা ব্যাখ্যা করে তার উপর প্রভাব ফেলবে। সামাজিক প্ররোচনার জন্য, অনুসন্ধানটি দেখিয়েছে যে বাবা-মা এবং শিক্ষক উভয়ই বাচ্চাদের কাছে যে বার্তা পাঠিয়েছেন তা তাদের দক্ষতার প্রতি শিক্ষার্থীদের বিশ্বাসকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, একটি বার্তা যে বিশ্বাস করে যে গণিত একটি স্থির ক্ষমতা ফলাফল ছাত্রদের অনুপ্রেরণার অভাব হবে। সুতরাং, যদি পিতামাতারা তাদের বাচ্চাদের বলেন যে গণিতের দক্ষতার সাথে তাদের হয় এটি আছে বা না, তাদের বাচ্চারা বিশ্বাস করতে পারে যে তাদের ভাল পারফরম্যান্স করার ক্ষমতা নেই এবং গণিতে তাদের আত্মবিশ্বাস কমিয়ে দেয়। এই ক্ষেত্রে, সামাজিক প্ররোচনা শিক্ষার্থীদের শারীরবৃত্তীয় অবস্থার উপর প্রভাব ফেলতে পারে।
==== শিক্ষকদের কার্যকারিতা ====
শিক্ষকদের শিক্ষার কার্যকারিতা এই বিশ্বাসকে বোঝায় যে তারা তাদের শিক্ষার্থীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনতে পারে,[ যেমন শিক্ষার্থীদের একাডেমিক পারফরম্যান্স, স্ব-কার্যকারিতা, অনুপ্রেরণা, মনোভাব এবং শেখার আগ্রহ। শিক্ষকদের একটি উচ্চ স্তরের শিক্ষার কার্যকারিতা প্রতিষ্ঠার জন্য, তাদের একটি ইতিবাচক মনোভাব, সমৃদ্ধ শিক্ষাগত জ্ঞান এবং তাদের শিক্ষণ বিষয়ের প্রতি বিষয়বস্তু জ্ঞান থাকতে হবে। গণিতের প্রতি শিক্ষকদের মনোভাব শিক্ষার্থীদের মনোভাব এবং একাডেমিক পারফরম্যান্সের উপর শক্তিশালী প্রভাব ফেলতে পারে। একটি গবেষণায় শিক্ষকদের সাক্ষাত্কার নেওয়ার মাধ্যমে চারটি ভিন্ন গ্রুপে গণিতের প্রতি শিক্ষকদের মনোভাব পরীক্ষা করা হয়েছে এবং তাদের একটি শিক্ষক মনোভাব স্কেল সম্পন্ন করতে হবে। চারটি ভিন্ন গ্রুপ হলো কে -৪ শিক্ষক, মধ্য বিদ্যালয়ের শিক্ষক, অন্যান্য শিক্ষাবিদ (অধ্যক্ষ, অন্যান্য প্রশাসক) এবং বিশেষ শিক্ষার শিক্ষক। ফলাফলটি ইঙ্গিত দেয় যে চারটি গ্রুপের মধ্যে, মধ্য বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের গণিতের প্রতি সবচেয়ে শক্তিশালী ইতিবাচক মনোভাব রয়েছে (৬০% দৃঢ়ভাবে ইতিবাচক, ৩০% নিরপেক্ষ, ১০% দৃঢ়ভাবে নেতিবাচক), যেখানে কে -৪ শিক্ষকদের গণিতের প্রতি সবচেয়ে শক্তিশালী নেতিবাচক মনোভাব রয়েছে (৪৩% দৃঢ়ভাবে ইতিবাচক, ২৩% নিরপেক্ষ, ৩৪% দৃঢ়ভাবে নেতিবাচক)। ফলাফলটি দেখায় যে গণিতটি মধ্য বিদ্যালয় স্তরের চেয়ে প্রাথমিক স্তরে কম জোর দেওয়া এবং মূল্যবান। গণিতের প্রতি নেতিবাচক মনোভাব থাকার মাধ্যমে, শিক্ষকরা কম বিশ্বাস করেন যে তারা তাদের শিক্ষার্থীদের শেখার ক্ষেত্রে পরিবর্তন আনতে পারেন, যা তাদের শিক্ষার কার্যকারিতার সাথে সম্পর্কিত। গণিতে শিক্ষকদের শিক্ষাগত জ্ঞান এবং বিষয়বস্তু জ্ঞানও এমন কারণ যা তাদের শিক্ষার কার্যকারিতাকে প্রভাবিত করে। একটি বর্তমান গবেষণা শিক্ষকদের শিক্ষার কার্যকারিতা এবং বীজগণিতের বিষয়ে শিক্ষার্থীদের কৃতিত্বের সাথে সম্পর্কিত শিক্ষকদের গণিত শিক্ষাগত জ্ঞান এবং গণিতের বিষয়বস্তু জ্ঞান অধ্যয়ন ফলাফলে দেখা গেছে যে তারা তাদের শিক্ষাগত জ্ঞান এবং বিষয়বস্তু জ্ঞানের সাথে শিক্ষকের শিক্ষার কার্যকারিতার মধ্যে দৃঢ় সম্পর্কযুক্ত, যা ইঙ্গিত দেয় যে সমৃদ্ধ শিক্ষাগত জ্ঞান এবং বিষয়বস্তু জ্ঞানের সাথে শিক্ষকরা আরও আত্মবিশ্বাসী তাদের শিক্ষাদান এবং বিশ্বাস করার সম্ভাবনা বেশি যে তারা তাদের শিক্ষার্থীদের শেখার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনতে পারে।
শিক্ষকদের শিক্ষার কার্যকারিতা বিভিন্ন উপায়ে শিক্ষার্থীদের শেখার উপর প্রভাব ফেলতে পারে। আরও পর্যবেক্ষণযোগ্য কারণগুলোর মধ্যে একটি হলো শিক্ষার্থীদের একাডেমিক কৃতিত্ব। একটি গবেষণায় কে -১২ স্কুল শিক্ষকদের স্ব-কার্যকারিতা বিশ্বাস পরিচালিত হয়েছিল এবং দেখা গেছে যে তাদের স্ব-কার্যকারিতা বিশ্বাস শিক্ষার্থীদের কৃতিত্বের সাথে ইতিবাচকভাবে জড়িত। শিক্ষার্থীদের কৃতিত্বের পাশাপাশি, শিক্ষকদের শিক্ষাদানের কার্যকারিতা শিক্ষার্থীদের অনুপ্রেরণা, আগ্রহ এবং শেখার কৌশলগুলোর ব্যবহারকেও প্রভাবিত করতে পারে। এটি কারণ উচ্চতর শিক্ষার কার্যকারিতা সহ শিক্ষকরা সমালোচনার পরিবর্তে প্রশংসা ব্যবহার করার সম্ভাবনা বেশি, আরও গ্রহণযোগ্য এবং আরও কার্যমুখী হওয়ার জন্য। অন্য একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে উচ্চতর কার্যকারিতাযুক্ত শিক্ষকরা তাদের শিক্ষার্থীদের আরও শেখার কৌশল শেখাবেন এবং আরও মনোযোগী একাডেমিক শেখার সময় পাবেন, যা শিক্ষার্থীদের কর্মক্ষমতা বাড়িয়ে তুলবে।
=== স্ব-নিয়ন্ত্রিত শিক্ষা ===
লোকেরা ভাবতে পারে যে শিক্ষার্থীদের নিম্ন গণিতের কৃতিত্ব গণিতে তাদের কম দক্ষতা বা না পড়ার পরিণতির কারণে। কিন্তু সব ক্ষেত্রে এমনটা নাও হতে পারে। কখনও কখনও, শিক্ষার্থীদের কম গণিতের কৃতিত্ব তাদের '''স্ব-নিয়ন্ত্রিত শেখার''' দক্ষতার অভাবের কারণে অধ্যয়নের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত কৌশলগুলো ব্যবহার না করার ফলস্বরূপ হতে পারে। স্ব-নিয়ন্ত্রিত শিক্ষা হলো শিক্ষার্থীদের তাদের শেখার সমস্ত দিক নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা, অগ্রিম পরিকল্পনা থেকে শুরু করে তারা কীভাবে পরে তাদের নিজস্ব কর্মক্ষমতা মূল্যায়ন করে স্ব-নিয়ন্ত্রিত শিক্ষার জন্য তিনটি মূল উপাদান রয়েছে। প্রথমটি হলো মেটাকগনিটিভ সচেতনতা, যা শিক্ষার্থীরা কীভাবে তাদের লক্ষ্য নির্ধারণ করে এবং সেই লক্ষ্যে পৌঁছানোর তাদের পরিকল্পনা বোঝায়। দ্বিতীয়টি হলো কৌশলগুলো ব্যবহার, যা স্ব-নিয়ন্ত্রিত কৌশলগুলোর একটি তালিকা বোঝায় যা শিক্ষার্থীরা তাদের পড়াশোনায় প্রয়োগ করতে পারে। দক্ষ শিক্ষার্থীরা যখন শিখছে তখন তারা আরও কার্যকর কৌশল ব্যবহার করে। শেষটি হলো অনুপ্রেরণা নিয়ন্ত্রণ, যা শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য নির্ধারণের ক্ষমতা এবং তাদের একাডেমিক দক্ষতা এবং কর্মক্ষমতা সম্পর্কে তাদের ইতিবাচক বিশ্বাস। স্ব-নিয়ন্ত্রিত শিক্ষার ক্ষমতা শিক্ষার্থীদের গাণিতিক কৃতিত্বের উপর একটি বড় প্রভাব ফেলে। শিক্ষার্থীরা আরও ভাল কৌশল ব্যবহার করবে এবং গণিত কীভাবে অধ্যয়ন করতে হবে সে সম্পর্কে আরও ভাল ধারণা পাবে, যখন তাদের স্ব-নিয়ন্ত্রিত শেখার দক্ষতা উন্নত হবে, যা এই গাণিতিক কৃতিত্বকে বাড়িয়ে তুলবে।
==== গণিত স্ব-নিয়ন্ত্রিত শিক্ষণ প্রোগ্রাম অধ্যয়ন ====
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একটি গবেষণায় একটি গণিত স্ব-নিয়ন্ত্রণ শেখার প্রোগ্রাম প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল এবং ফলাফলটি দেখিয়েছিল যে যখন শিক্ষার্থীদের স্ব-নিয়ন্ত্রিত শেখার দক্ষতা দিয়ে শেখানো হয়, তখন তাদের গাণিতিক কৃতিত্ব বৃদ্ধি পায়। প্রাথমিক স্তরে ৬০ জন নিম্ন গাণিতিক অর্জনকারী শিক্ষার্থীর সাথে এই গবেষণার কথা জড়িত। ৩০ জন শিক্ষার্থীকে পরীক্ষামূলক দলে রাখা হচ্ছে, যা তাদের গণিত স্ব-নিয়ন্ত্রিত শেখার প্রোগ্রামে অংশ নিতে হবে।
এই প্রোগ্রামটিতে ৩০ টি সেশন রয়েছে, যা তাদের অনুপ্রেরণামূলক নিয়ন্ত্রণ বৃদ্ধি করে এবং তাদের স্ব-নিয়ন্ত্রণের কৌশলগুলো শেখানোর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের স্ব-নিয়ন্ত্রিত শেখার দক্ষতা বাড়ানোর উদ্দেশ্যে কাজ করে। (অধিবেশন ১-৫) শিক্ষার্থীদের স্ব-নিয়ন্ত্রণমূলক বিশ্বাস সিস্টেম বিকাশের মাধ্যমে প্রোগ্রামটি শুরু হয়েছিল। তারা শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত দায়বদ্ধতা, স্ব-কার্যকারিতা, শেখার লক্ষ্য এবং শিক্ষার্থীদের গল্প বলার সাথে বক্তৃতা দিয়ে এবং তাদের ধারণাগুলো একটি গ্রুপে ভাগ করে নেওয়ার মাধ্যমে প্রচেষ্টার মূল্যের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়। (অধিবেশন ৬-১১) তারপরে, তারা শিক্ষার্থীদের জিমারম্যান দ্বারা প্রস্তাবিত ১৪ টি স্ব-নিয়ন্ত্রিত শেখার কৌশলগুলো পরিচয় করিয়ে দেয়। প্রতিটি কৌশল তার ব্যবহার এবং গণিত শেখার গুরুত্বপূর্ণ উপর জোর দিয়ে ব্যাখ্যা করা হয়েছিল। এরপরে, শিক্ষার্থীদের তাদের নিজস্ব প্রতিটি কৌশল অনুশীলন করার সুযোগ দেওয়া হয়। (অধিবেশন ১২-৩০) পরিশেষে, শিক্ষার্থীদের তাদের নিয়মিত গাণিতিক পাঠে স্ব-নিয়ন্ত্রিত শেখার কৌশল প্রয়োগ করার জন্য গাইড করা হয়। এছাড়াও, তাদের লক্ষ্য নির্ধারণ, স্ব-মূল্যায়ন এবং স্ব-অনুবর্তী ফর্মগুলো পূরণ করে তাদের নিজস্ব অগ্রগতি মূল্যায়ন করতে হবে। শিক্ষার্থীরা গণিত স্ব-নিয়ন্ত্রিত শেখার প্রোগ্রামে ৩০ টি সেশন শেষ করার পরে, তারা একটি গাণিতিক কৃতিত্ব পরীক্ষা এবং একটি স্ব-নিয়ন্ত্রিত শেখার পরীক্ষা নেবে। ফলাফলে দেখা গেছে যে প্রোগ্রামে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা যারা প্রোগ্রামে অংশ নেননি তাদের তুলনায় উভয় পরীক্ষায় বেশি স্কোর করেছেন।
গাণিতিক ক্ষেত্রে স্ব-নিয়ন্ত্রিত শেখার কৌশল প্রয়োগ করা
{| class="wikitable"
!কৌশল
!গাণিতিক ক্ষেত্রে প্রয়োগ
|-
|আত্ম-মূল্যায়ন
|শিক্ষার্থীরা যথাযথ পদক্ষেপের সাথে প্রশ্নগুলোর সঠিক উত্তর রয়েছে তা নিশ্চিত করে এটি করে।
|-
|সংগঠন এবং রূপান্তর
|শিক্ষার্থীদের গণিত প্রশ্ন সংগঠিত করার ক্ষমতা। কিছু উপায় গ্রাফ, সমীকরণ এবং ডায়াগ্রাম ব্যবহার করছে।
|-
|লক্ষ্য নির্ধারণ ও পরিকল্পনা
|শিক্ষার্থীরা লক্ষ্য নির্ধারণ করে এবং সেই লক্ষ্যগুলো অর্জনের জন্য তাদের পরিকল্পনা করে।
|-
|রেকর্ড রাখা এবং পর্যবেক্ষণ করা
|ক্লাসে নোট নেওয়া। সমীকরণগুলো সংগঠিত করা।
|-
|পরিবেশ কাঠামো
|এমন পরিবেশে পড়াশোনা যা তাদের পড়াশোনার উপকার করে।
|-
|স্ব-পরিণতি
|গণিতশাস্ত্রে সাফল্য বা ব্যর্থতার উপর শিক্ষার্থীর নিজস্ব শাস্তি বা পুরষ্কার।
|-
|মহড়া ও মুখস্থ করা
|শিক্ষার্থী গণিতের বিভিন্ন ধরণের প্রশ্ন করে শিখেছে।
|-
|তথ্য চাওয়া
|শিক্ষার্থীরা অসামাজিক উৎস থেকে তথ্য চায়।
|-
|সামাজিক সহায়তা চাওয়া
|শিক্ষার্থীরা তাদের সহকর্মী, শিক্ষক বা অন্যান্য প্রাপ্তবয়স্কদের কাছ থেকে সহায়তা চায়।
|-
|রেকর্ড পর্যালোচনা
|শিক্ষার্থীরা পাঠ্যপুস্তক, নোট বা তাদের বাড়ির কাজের প্রশ্নগুলো পুনরায় পড়ে।
|}
গণিত স্ব-নিয়ন্ত্রিত শেখার প্রোগ্রামের ৩০ টি সেশনে অংশ নেওয়ার পরে, শিক্ষার্থীরা তাদের গাণিতিক কৃতিত্ব এবং স্ব-নিয়ন্ত্রিত শেখার পরীক্ষায় উল্লেখযোগ্য উন্নতি দেখিয়েছে। এটি দেখায় যে স্ব-নিয়ন্ত্রিত শেখার দক্ষতা সহ নিম্ন-অর্জনকারী গণিত শিক্ষার্থীদের শেখানো সম্ভব। যখন তারা এই দক্ষতাগুলোর সাথে সজ্জিত হয়েছিল এবং প্রক্রিয়া এবং কৌশলগুলোতে ফোকাস করতে শেখানো হয়েছিল, তখন তাদের গণিত সমাধানের দক্ষতা উন্নত হয়েছিল। উন্নতির সাথে, শিক্ষার্থীরা ধীরে ধীরে গণিতে আরও ভাল করার দক্ষতার স্বীকৃতি দেবে। তাদের উন্নতির জন্য নিজেদের প্রশংসা এবং পুরস্কৃত করা শিক্ষার্থীদের গণিতে আরও বেশি উন্নতি প্রদান করবে। ফলে তাদের আত্মকার্যকারিতা ও গণিতের প্রতি আগ্রহ বাড়বে। এটি একটি ইতিবাচক চক্র তৈরি করে: যখন শিক্ষার্থীরা বিশ্বাস করে যে তাদের গণিত অর্জনের ক্ষমতা রয়েছে, তখন তারা উপযুক্ত স্ব-নিয়ন্ত্রিত শেখার দক্ষতার সাথে গণিতে আরও কঠোর পরিশ্রম করবে।
ঐতিহ্যবাহী শ্রেণিকক্ষে, গণিতকে প্রক্রিয়া-কেন্দ্রিক বিষয়ের পরিবর্তে উত্তর-কেন্দ্রিক বিষয় হিসাবে দেখা হয়। গতি এবং নির্ভুলতার উপর জোর দিয়ে, শিক্ষার্থীরা গণিত বোঝার পরিবর্তে গাণিতিক তথ্য অনুলিপি এবং মুখস্থ করার দক্ষতা বিকাশ করবে। এছাড়াও, শিক্ষক থেকে শিক্ষার্থী পর্যন্ত শিক্ষা কেবল একভাবে প্রবাহিত হয়। এই ধরনের শ্রেণীকক্ষের সেটিংয়ে শিক্ষার্থীদের পক্ষে স্ব-নিয়ন্ত্রিত শিক্ষার কৌশলগুলো প্রয়োগ করা কঠিন হবে কারণ যখন শিক্ষার্থীদের তাদের অধ্যয়নের উপর পছন্দ এবং নিয়ন্ত্রণ রাখার অনুমতি দেওয়া হয় না, তখন তারা স্ব-নিয়ন্ত্রণের কৌশলগুলো শিখতে পারে না, বা স্বেচ্ছায় স্ব-দীক্ষা এবং নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না বিভিন্ন কৌশল ব্যবহার। অতএব, শিক্ষার্থীদের স্ব-নিয়ন্ত্রণের দক্ষতা প্রয়োগ করার জন্য, শ্রেণিকক্ষের পরিবেশ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। স্ব-নিয়ন্ত্রিত শেখার দক্ষতা বিকাশের সর্বোত্তম উপায়গুলোর মধ্যে একটি হলো শিক্ষার্থীদের নিজস্ব শেখার জন্য একটি নির্দিষ্ট ডিগ্রি নিয়ন্ত্রণ দেওয়া। গণিত শিক্ষকদের জ্ঞান ভাগ করে নেওয়া এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রচার করা উচিত। যখন শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য নির্ধারণ, কার্যক্রম পরিকল্পনা এবং তাদের নিজস্ব কর্মক্ষমতা মূল্যায়নে একটি কণ্ঠস্বর থাকে, তখন তাদের স্ব-নিয়ন্ত্রিত শেখার দক্ষতা অনুশীলন করার সুযোগ থাকে, যা তাদের গণিত কৃতিত্বের উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
উচ্চ-গ্রেডের শিক্ষার্থীরা নিম্ন গ্রেডের শিক্ষার্থীদের চেয়ে স্ব-নিয়ন্ত্রিত শেখার দক্ষতা আরও ভালভাবে প্রয়োগ করতে পারে। এটি কারণ বয়স্ক শিক্ষার্থীরা স্ব-নিয়ন্ত্রিত শেখার তত্ত্বে উপস্থাপিত ধারণা এবং ধারণাগুলো বুঝতে আরও সক্ষম। এছাড়াও, কিছু স্ব-নিয়ন্ত্রিত শেখার কৌশলগুলোর জন্য পূর্বের জ্ঞান এবং দক্ষতা প্রয়োজন, যেমন একটি পরিকল্পনা লেখা বা শেখার উপকরণগুলো সংগঠিত করা। অতএব, উচ্চ-গ্রেডের শিক্ষার্থীদের পক্ষে স্ব-নিয়ন্ত্রিত কিছু কৌশল শিখতে সহজ। ফলস্বরূপ, উচ্চ-গ্রেডের শিক্ষার্থীরা যখন স্ব-নিয়ন্ত্রিত শেখার দক্ষতা শেখানো হয় তখন নিম্ন গ্রেডের শিক্ষার্থীদের তুলনায় গাণিতিক কৃতিত্বে আরও উন্নতি দেখায়।
== শিক্ষার উপর প্রভাব ==
=== গণিত-শেখার অক্ষমতা ===
জ্ঞান, কার্যকর স্মৃতি এবং গণিত শেখার অক্ষমতা সম্পর্কে সাম্প্রতিক গবেষণাগুলো গণিতে গণনা এবং সমস্যা সমাধানের শেখার অক্ষমতাগুলোর মধ্যে পার্থক্য করার প্রয়োজনীয়তার দিকে ইঙ্গিত করে। এই মুহুর্তে, গণিতের মূল্যায়নগুলো জেনেরিক হয়েছে এবং প্রতিটি ডোমেনের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যগুলোতে যথাযথ বিবেচনা দেওয়া হয়নি। শিক্ষার্থীদের নির্ণয়ের সময় পেশাদারদের অবশ্যই এই দুটি দক্ষতা আলাদাভাবে বিবেচনা করতে হবে। গাণিতিক শেখার প্রতিবন্ধী শিশুদের নির্দেশ দেওয়ার সময় শিক্ষকদেরও বিভিন্ন ডোমেনগুলো বিবেচনা করা উচিত। কিছু পরামর্শ এবং সরঞ্জাম যা শিক্ষার্থীদের তাদের গাণিতিক শেখার ক্ষেত্রে সহায়তা করতে পারে:
=== বহিঃপ্রতিনিধিত্ব ===
বাহ্যিক উপস্থাপনা গণিতে একটি সহায়ক সরঞ্জাম কারণ গাণিতিক সমস্যাগুলো মাঝে মাঝে মানসিকভাবে সমাধান করা জটিল হতে পারে। বাহ্যিক উপস্থাপনা ব্যবহার করে, এটি গণিতের ধারণার উপর একটি স্পষ্ট ধারণা প্রদান করে যার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা জ্ঞান অর্জন বিকাশ করতে পারে। কিছু বাহ্যিক উপস্থাপনা হলো ওয়ার্ক-আউট উদাহরণ, অ্যানিমেশন এবং ডায়াগ্রাম।
==== কাজের উদাহরণ ====
ওয়ার্ক-আউট উদাহরণগুলো একটি দরকারী শিক্ষামূলক পদ্ধতি যা শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের গণিত শেখার সুবিধার্থে ব্যবহার করেন। গবেষণা দেখায় যে ওয়ার্ক-আউট উদাহরণগুলো ব্যবহার করে এমন শিক্ষার্থীদের বাড়িয়ে তুলতে পারে যাদের গণিতের কর্মক্ষমতা স্তর কম। একটি কারণ হলো যখন শিক্ষার্থীদের সমাধান করার জন্য কোনও সমস্যা দেওয়া হয়, তখন তাদের সর্বোত্তম লক্ষ্য গণিত শেখার পরিবর্তে সমস্যাটি সমাধান করা। বিপরীতে, যখন শিক্ষার্থীদের কাজের উদাহরণ দেওয়া হয়, তখন তারা আসলে শিখে এবং তাদের নিজেরাই উপকরণগুলো ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করে। সুতরাং, কাজ করা উদাহরণগুলো শিক্ষার্থীদের জন্য ইচ্ছাকৃত শিক্ষার উপর আরও বেশি ফোকাস করে। শিক্ষার্থীরা সাধারণত গাণিতিক তত্ত্ব বা প্রমাণ বুঝতে পারে না কারণ তারা বুঝতে জটিল। যাইহোক, পরিশ্রমী উদাহরণগুলো শিক্ষার্থীদের শেখার অর্জন এবং গণিতের ধারণাটি বোঝার জন্য সহজ। সুস্পষ্ট নির্দেশনা না দিয়ে, শিক্ষকরা কেবল শিক্ষার্থীদের উল্লেখ করার জন্য উদাহরণ হিসাবে গাণিতিক সমস্যাটি কীভাবে সমাধান করবেন তার পদক্ষেপগুলো দেখায়। গাণিতিক সমস্যা সমাধানের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপগুলোর বিস্তারিত ব্যাখ্যা রয়েছে। তারপরে, শিক্ষার্থীদের নিজেরাই একই ধরণের গাণিতিক সমস্যাটি স্ব-ব্যাখ্যা করার স্বায়ত্তশাসন রয়েছে। সুতরাং, তারা অনেক গাণিতিক সমস্যা সমাধানের জন্য রেফারেন্স হিসাবে কাজ করা উদাহরণগুলো ব্যবহার করতে পারে। শিক্ষকরা যে পরিশ্রমী উদাহরণ দিয়েছেন তা উল্লেখ করে তারা কীভাবে সমস্যার সমাধান করা যায় সে সম্পর্কে তাদের চিন্তাভাবনাকে স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত করতে পারে। অতএব, এটি শিক্ষার্থীদের স্ব-নিয়ন্ত্রিত শিক্ষার ক্ষেত্রেও বাড়িয়ে তুলতে পারে কারণ তারা সমস্যা সমাধানে তাদের সমালোচনামূলক চিন্তাভাবনা অনুশীলন করছে। এই '''মেটাকগনিটিভ''' কৌশলটি শিক্ষার্থীদের বিশেষত গাণিতিক শব্দ সমস্যাগুলোতে তাদের সমস্যা সমাধানের দক্ষতা উন্নত করতে সহায়তা করতে পারে। মেটাকগনিটিভ কৌশলগুলোর মধ্যে স্ব-জিজ্ঞাসা, স্ব-মূল্যায়ন, সংক্ষিপ্তকরণ এবং সমস্যাটি চিত্রিত করা অন্তর্ভুক্ত। এই কৌশলগুলো শিক্ষার্থীদের জন্য জ্ঞান অর্জন করার সময় কাজ করা উদাহরণগুলো থেকে আরও গভীর বোঝার জন্য তৈরি করে বলে বিশ্বাস করা হয়। গবেষণায় দেখা গেছে যে শিক্ষার্থীরা সমস্যাটি স্ব-ব্যাখ্যা করতে এবং তাদের সমাধান করতে পারে তাদের উচ্চতর গণিতের কৃতিত্ব রয়েছে। যখন শিক্ষার্থীরা নিজেরাই গাণিতিক সমস্যাটি কীভাবে সমাধান করা যায় তার পদক্ষেপগুলো ব্যাখ্যা করে, তখন তারা তাদের প্রতিফলিত চিন্তাভাবনা অনুশীলন করে যা তথ্য দেওয়া হয়েছিল তার বাইরেও বৃহত্তর বোঝার তৈরি করতে পারে। প্রকৃতপক্ষে, শিক্ষার্থীরা গণিতের নতুন এবং পরিশীলিত জ্ঞান বিকাশ করতে পারে কারণ তারা তাদের পূর্ব জ্ঞানের সাথে নতুন শেখা উপকরণগুলোকে একত্রিত করে। উপরন্তু, ওয়ার্ক-আউট উদাহরণগুলো গ্রুপ সেটিংসেও ব্যবহার করা যেতে পারে যেখানে শিক্ষার্থীরা গাণিতিক সমস্যা সমাধানে তাদের সহপাঠীদের সাথে আলোচনা করতে পারে। গবেষণায় দুটি উপায় পাওয়া গেছে যাতে শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষে ওয়ার্ক-আউট উদাহরণ ব্যবহার করতে পারে। একটা উপায় হলো, যারা কাজের উদাহরণ বোঝে তারা যারা বোঝে না তাদের বোঝাতে পারবে। অন্য উপায়টি হলো শিক্ষার্থীরা তাদের যুক্তি এবং যুক্তি দক্ষতা ব্যবহার করে সম্পূর্ণরূপে কার্যকরী উদাহরণগুলো ব্যাখ্যা করে। উভয় উপায়ে শিক্ষার্থীদের কাজের উদাহরণগুলোর বিশদ আলোচনা করে একটি সামাজিক ইন্টারেক্টিভ সেটিংয়ে শেখার সাথে জড়িত। একটি সামাজিক সেটিংয়ে শেখা উপকরণগুলোর বোঝাপড়াকে শক্তিশালী করতে পারে কারণ শিক্ষার্থীরা উদাহরণগুলো আরও গভীরভাবে প্রসারিত করছে। একটি স্পষ্ট বোঝার জন্য তারা কাজ করা উদাহরণগুলোর সাথে তাদের যে কোনও প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করতে পারে। অতএব, এটি গুরুত্বপূর্ণ যে শিক্ষার্থীদের সমস্যা পদ্ধতির প্রতিফলন করতে এবং তাদের বিদ্যমান জ্ঞানের বাইরে জ্ঞান অর্জনের জন্য ছোট দলে কাজ করা উদাহরণগুলোতে আরও আলোচনা করা উচিত।
==== অ্যানিমেশন ====
গণিত শেখার প্রতি শিক্ষার্থীদের আগ্রহ বাড়ানোর জন্য, অ্যানিমেশন শিক্ষার্থীদের শেখানোর জন্য ব্যবহার করার জন্য একটি দুর্দান্ত শিক্ষামূলক সরঞ্জাম। যেহেতু গণিত মাঝে মাঝে বেশ বিরক্তিকর এবং অনাকর্ষণীয় হতে পারে, তাই অ্যানিমেশনগুলো শিক্ষার্থীদের গণিত শেখার আগ্রহ আকর্ষণ করতে পারে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, অ্যানিমেশনগুলো গণিতে শিক্ষার্থীদের সমস্যা সমাধানের দক্ষতার সুবিধার্থে দাবি করে। শিক্ষার্থীরা যে কোনও গাণিতিক সমস্যা সমাধান করার আগে, শিক্ষার্থীদের সমস্যাটি সনাক্ত করা এবং কী সমাধান করতে হবে তা জানা গুরুত্বপূর্ণ। অতঃপর, যখন শিক্ষার্থীরা সমস্যাটি অনুবাদ করা কঠিন বলে মনে করে, তখন অ্যানিমেশন সবচেয়ে কার্যকর হয়ে ওঠে কারণ এতে ভিজ্যুয়াল উপস্থাপনা থাকে যা শিক্ষার্থীদের পক্ষে প্রশ্নটি ব্যাখ্যা করা সহজ করে তোলে। বিপরীতে, যখন শিক্ষার্থীরা কেবল সমস্যাটির উপর নোট নেয়, তখন সমস্যাটির অর্থ কী তা তাদের স্পষ্ট ধারণা থাকে না কারণ তারা কেবল পাঠ্যটি অনুলিপি করছে। সমস্যার মৌখিক ব্যাখ্যা সহ একটি সচিত্র উপস্থাপনা থাকার মাধ্যমে, শিক্ষার্থীরা সমস্যাটিতে কী ঘটছে তা পুরোপুরি কল্পনা করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, যোগ এবং বিয়োগের ধারণাটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর কাছে পাঠ্যের মাধ্যমে ব্যাখ্যা করা শক্ত। যাইহোক, সমস্যাটিতে কী ঘটেছিল তার আগে এবং পরে ফ্রেম প্রদর্শন করার জন্য অ্যানিমেশনগুলো ব্যবহার করার সময় একটি স্পষ্ট বোঝাপড়া তৈরি করতে পারে। যোগ বা বিয়োগ গাণিতিক সমস্যার ক্ষেত্রে, অ্যানিমেশনগুলো সমাধানটি উপস্থাপন করতে বস্তুর বৃদ্ধি বা হ্রাস প্রদর্শন করতে পারে। এছাড়াও, অ্যানিমেশনগুলো দৃশ্যমান বস্তু, কংক্রিট ফলাফল এবং নির্দিষ্ট দৃষ্টান্ত দেখিয়ে বিমূর্ত গণিত তত্ত্বগুলো চিত্রিত করতে পারে। সুতরাং, অ্যানিমেশনগুলো স্বতন্ত্র উদাহরণগুলোর রেফারেন্স সহ গণিতের বিমূর্ত ধারণাগুলো জানাতে ব্যবহার করা যেতে পারে। অ্যানিমেশনগুলো সমস্যাগুলোর ভিজ্যুয়াল উপস্থাপনার কারণে বিমূর্ত নীতিগুলো অর্জন এবং কার্যকর-আউট উদাহরণগুলোর বোধগম্যতা সহজতর করতে পারে। যদিও কাজ করা উদাহরণগুলো কার্যকর নির্দেশমূলক অনুশীলন হিসাবে পরিচিত, অ্যানিমেশনগুলো এই উদাহরণগুলোকে কার্যকরভাবে উন্নত করতে ব্যবহার করা যেতে পারে। কাজ করা উদাহরণগুলোতে সর্বদা সচিত্র উপস্থাপনা নাও থাকতে পারে তবে কেবল লিখিত পাঠ্য থাকতে পারে। অতএব, যখন কাজ করা উদাহরণগুলোর সমাধান পদ্ধতির প্রতিটি পদক্ষেপের একটি চাক্ষুষ উপস্থাপনা থাকে, তখন শিক্ষার্থীরা সমস্যাটিতে কী চলছে তা কল্পনা করতে পারে। শিক্ষার্থীরা ব্যাখ্যা এবং প্রদত্ত ছবিগুলোর সাথে কাজ করা উদাহরণগুলো আরও ভালভাবে ব্যাখ্যা করতে পারে। ফলস্বরূপ, এটি সুপারিশ করা হয় যে গণিতে শিক্ষার্থীদের শেখার সম্পূর্ণরূপে একীভূত করার জন্য শিক্ষকদের তাদের অনুশীলনে একটি শিক্ষামূলক সরঞ্জাম হিসাবে অ্যানিমেশন ব্যবহার করা উচিত।
==== রেখাচিত্র ====
একটি তথ্যমূলক চিত্র তৈরি করা একটি খুব কঠিন পদ্ধতি হতে পারে, কারণ শিক্ষার্থীদের কেবল মৌখিক তথ্যকে ভিজ্যুয়াল তথ্যে ব্যাখ্যা করার প্রয়োজন হয় না, তবে তাদের পূর্বের জ্ঞানের সাথে যুক্ত হওয়ার আগে সম্পর্কিত তথ্যগুলো একসাথে সনাক্ত এবং সংহত করার প্রয়োজন হয়। লারকিন এবং সাইমন বিশ্বাস করতেন যে অনুসন্ধান, মিল এবং অনুমানের ক্ষেত্রে তিনটি দিকের কারণে ডায়াগ্রাম্যাটিক উপস্থাপনা সংবেদনশীল উপস্থাপনার চেয়ে সহজ এবং আরও দক্ষ। প্রথমত, এটি শব্দ সমস্যার উপাদানগুলোর মধ্যে টপোগ্রাফিক এবং জ্যামিতিক সম্পর্ক সম্পর্কে সমস্ত তথ্য স্পষ্টভাবে ধরে রাখে। অতএব, শিক্ষার্থীরা সহজেই নির্দিষ্ট তথ্য অনুসন্ধান করতে পারে। দ্বিতীয়ত, যেহেতু সমস্ত সম্পর্কিত উপাদানগুলো একসাথে গোষ্ঠীভুক্ত করা হয়েছে, এটি কংক্রিট উপস্থাপনা এবং চিত্রোপকরণের মধ্যে সংযোগ দেখায়। সুতরাং, এটি সম্পর্কিত তথ্য সনাক্তকরণের প্রক্রিয়াটি সহজ করতে পারে। এর পাশাপাশি, একটি চিত্র অঙ্কন করে সমস্যাটি উত্পাদিত হলে মেমরি লোড কম হয়, কারণ শিক্ষার্থীরা সম্পর্কিত তথ্যগুলোর মধ্যে প্রয়োজনীয় অনুমানটি স্পষ্টভাবে দেখতে পারে। অনেক গবেষণায় পরামর্শ দেওয়া হয়েছে যে ডায়াগ্রামের ব্যবহার সমস্যা সমাধানের দক্ষতা উন্নত করতে পারে।
বন্দ্যোপাধ্যায় গণিত শব্দের সমস্যা সমাধানে উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কৃতিত্বের উপর একটি প্রতিনিধিত্বমূলক কৌশল হিসাবে ডায়াগ্রামিং ব্যবহারের প্রভাব সম্পর্কে একটি গবেষণা পরিচালনা করেছেন। ফলাফলটি প্রমাণ করেছে যে ডায়াগ্রামিং পদ্ধতি (যেমন গণিতের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য ডায়াগ্রামগুলোর তৈরি এবং লেবেলগুলোতে মনোনিবেশ করা) গণিতের শব্দ সমস্যা সমাধানে তাদের অর্জনকে উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত করতে পারে।
গণিত শব্দের সমস্যা সমাধানে ডায়াগ্রাম ব্যবহার নিয়ে একটি গবেষণায়, উয়েসাকা, মানালো এবং ইচিকাওয়া জাপান এবং নিউজিল্যান্ডের শিক্ষার্থীদের তুলনা করেছিলেন। একজন জাপানি ছাত্র যে চিত্রটি এঁকেছিলেন সেটি ছিল একটি এক-বস্তু সমস্যা ব্যবহার করা, এবং নিউজিল্যান্ডের একজন ছাত্র দ্বারা উত্পাদিত একটি দ্বিমাত্রিক বস্তু ব্যবহার করে গণিত শব্দের সমস্যাগুলো সমাধান করা। ফলাফলগুলো ইঙ্গিত দেয় যে নিউজিল্যান্ডের শিক্ষার্থীদের দ্বারা সঠিক উত্তরের শতাংশ জাপানি শিক্ষার্থীদের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি ছিল। কারণটি হলো একটি ডায়াগ্রাম্যাটিক উপস্থাপনা তৈরি করা অবস্থান অনুসারে বাক্যগুলো সূচিবদ্ধ করতে পারে, যাতে শিক্ষার্থীরা একটি নির্দিষ্ট স্থানে বিশদটি স্পষ্টভাবে পর্যবেক্ষণ করতে পারে, যা সমস্যাটি বুঝতে তাদের সহজ করে।
গণিতের সমস্যা সমাধানের জন্য রেখাচিত্র ব্যবহার করার বিষয়ে শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করার জন্য, শিক্ষকদের প্রথমে তাদের শেখাতে হবে ১) রেখাচিত্র কী, ২) সমস্যা সমাধানের জন্য রেখাচিত্র ব্যবহারের গুরুত্ব, ৩) সমস্যা সমাধানে কখন রেখাচিত্র প্রয়োগ করতে হবে, ৪) গণিতের সমস্যার জন্য কোন ধরনের রেখাচিত্র ব্যবহার করা উচিত, ৫) কিভাবে ডায়াগ্রাম তৈরি করতে হয়, এবং ৬) কিভাবে একটি ডায়াগ্রাম কার্যকরভাবে ব্যবহার করতে হয়। শিক্ষার্থীদের ডায়াগ্রামের মৌলিক ধারণাগুলো জানার কারণ হলো ডায়াগ্রামগুলো সমস্ত গণিতের সমস্যাগুলোতে প্রযোজ্য নাও হতে পারে। উয়েসাকা এবং মানালো উল্লেখ করেছেন যে শিক্ষার্থীরা স্থানিক সমস্যার পরিবর্তে দৈর্ঘ্য এবং দূরত্বের ক্ষেত্রে গণিতের শব্দের সমস্যাগুলো সমাধান করার সময় ডায়াগ্রাম ব্যবহার করে, কারণ এটি সাধারণত একটি কংক্রিট সম্পর্ক এবং পরিচিত পরিমাণের সাথে জড়িত। তাদের ডায়াগ্রামের গুরুত্বপূর্ণ ধারণাগুলো শেখানোর পরে, শিক্ষকরা তাদের ৩ ধাপের পদ্ধতি নির্দেশ দিতে পারেন - জিজ্ঞাসা করুন, করুন এবং চেক করুন। ভ্যান গার্ডেরেন এবং শুয়েরম্যান পরামর্শ দিয়েছিলেন যে শিক্ষার্থীদের প্রথমে কী সমাধান করা দরকার সেদিকে মনোনিবেশ করা উচিত; তারপরে তাদের একটি চিত্র তৈরি করা উচিত। অবশেষে, তারা ডায়াগ্রামগুলো ব্যবহার করে সমস্যার সমাধান করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, কী সমাধান করা দরকার তার উপর ফোকাস করার জন্য, শিক্ষার্থীরা তথ্য অনুসন্ধানের জন্য কী ওয়ার্ড পদ্ধতিটি ব্যবহার করতে পারে এবং সমস্যা থেকে দেওয়া তথ্য স্থাপন করতে পারে। উপসংহারে, গণিতের সমস্যাগুলো সমাধান করার সময় ডায়াগ্রামগুলো কার্যকর কৌশল হতে পারে; এটি কেবল শিক্ষার্থীদের সমালোচনামূলকভাবে চিন্তা করতে সহায়তা করে না, তবে একটি ভিন্ন পদ্ধতির ব্যবহার করে সমস্যা সমাধানে তাদের সহায়তা করে।
=== অ্যালগরিদম ===
একটি অ্যালগরিদম শিক্ষার্থীদের গণিত সমস্যা সমাধানে সহায়তা করার জন্য পদক্ষেপগুলোর একটি সিরিজ। যদি তারা এই পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করে তবে তারা সর্বদা প্রতিবার একটি সঠিক উত্তর গণনা করতে সক্ষম হবে। অ্যালগরিদম পুনরাবৃত্তি ক্রমগুলোর সাথে জড়িত, এটি যোগ, বিয়োগ, গুণ এবং বিভাগের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। অ্যালগরিদম ব্যবহার করে, শিক্ষার্থীরা প্রতিটি পদক্ষেপে কী ঘটছে তা কীভাবে ব্যাখ্যা করতে পারে তা শিখতে পারে এবং যদি তারা শেষ পর্যন্ত একটি ভুল উত্তর দেয় তবে তাদের ভুলগুলো ট্র্যাক করতে সক্ষম হয়। সমস্যা সমাধানের সময় তাদের বিশদে মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন, অর্থাৎ, যখন তারা একাধিক ধাপের সমাধানের মাধ্যমে কাজ করছে, তখন তাদের দীর্ঘমেয়াদী মেমরি থেকে অ্যালগরিদমগুলো স্মরণ করতে হবে এবং ইতিমধ্যে তাদের মনে পদক্ষেপগুলোর একটি সেট থাকতে হবে। এছাড়াও, শিক্ষকদের শিক্ষার্থীদের নির্দেশ দেওয়া উচিত যে অ্যালগরিদমগুলো অবশ্যই ক্রমানুসারে সমাধান করতে হবে, কোনও পদক্ষেপই ঝাঁপিয়ে পড়া যাবে না। উদাহরণস্বরূপ, যখন শিক্ষার্থীরা মৌলিক গাণিতিক অপারেশনগুলো শিখছে, তখন তাদের শিখতে হবে যে ৫ + ৮×৬ এর মতো সমস্যা সমাধানের জন্য একটি নির্দিষ্ট ক্রম রয়েছে। শিক্ষার্থীদের বুঝতে হবে যে তাদের প্রথমে গুণ করতে হবে, তারপরে সংযোজন অংশ। যদি তারা সঠিক ক্রম অনুসরণ করতে পারে তবে তারা সর্বদা একটি সঠিক উত্তর দিতে পারে। যাইহোক, পল কব গ্রেড ১ এবং ২ শিক্ষার্থীদের দ্বিগুণ অঙ্কের সংযোজন সমস্যা সমাধানের বিষয়ে একটি গবেষণা পরিচালনা করেছেন। তিনি লক্ষ্য করেন যে, সকল শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করে ১৬+৯ এর জন্য সঠিক উত্তর দিতে সক্ষম হয়েছে। বিপরীতভাবে, যদি তাদের একই সমস্যা সমাধানের জন্য বহন করার সাথে ঐতিহ্যবাহী স্কুল অ্যালগরিদম ব্যবহার করতে বলা হয় তবে একটি উল্লম্ব প্রেক্ষাপটের সাথে, তাদের মধ্যে অনেকগুলো একটি ভুল উত্তর দেয়। তিনি উপসংহারে পৌঁছেছিলেন যে শিক্ষার্থীদের একটি ঐতিহ্যবাহী স্কুল অ্যালগরিদমের সাথে ত্রুটি করার উচ্চতর সম্ভাবনা থাকার কারণ হলো তারা অ্যালগরিদমগুলো কীভাবে কাজ করে তা সম্পূর্ণরূপে বোঝার পরিবর্তে কেবল নিয়মগুলো অনুসরণ করতে বাধ্য করছিল। ব্রাউন এবং বার্টন আবিষ্কার করেছেন যে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে শিক্ষার্থী তাদের গণিতের সমস্যাগুলো সমাধান করার জন্য ধারাবাহিকভাবে অ্যালগরিদমের এক বা একাধিক ভুল সংস্করণ ব্যবহার করছে। যদিও অনেক ভুল অ্যালগরিদম একটি সঠিক উত্তর দেয়, তবুও এটি সব ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নাও হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, কিছু বাচ্চাদের একটি পূর্বধারণা ছিল যে বিয়োগ অ্যালগরিদম মানে প্রতিটি একক কলামে বড় থেকে ছোট সংখ্যা নেওয়া, নির্বিশেষে যে সংখ্যাটি শীর্ষে ছিল। বাম দিকের চিত্রটি ব্যাখ্যা করতে পারে কেন ভুল অ্যালগরিদমগুলো সর্বদা সঠিক সমাধান তৈরি করতে পারে না।
ব্রাউন এবং বার্টন উল্লেখ করেছেন যে যদিও বিয়োগ অ্যালগরিদম সম্পর্কে ভুল ধারণা রয়েছে এমন শিশুরা বিয়োগের গাণিতিক ক্রিয়াকলাপগুলো বুঝতে পারে বলে মনে হতে পারে, কারণ এটি তাদের অংশ ক) এবং অংশ গ) এ সঠিক সমাধান দিতে গাইড করতে পারে)। যাইহোক, তারা অংশ খ) এবং অংশ ডি-তে একটি ভুল উত্তর দেবে), কারণ দ্বিতীয় কলামের উপরের সংখ্যাগুলো নীচের সংখ্যার চেয়ে ছোট। নাগেল এবং সুইংজেন বিশ্বাস করতেন যে বহন বা ধার করার সাথে ঐতিহ্যবাহী অ্যালগরিদমগুলো কেবল তাদের দক্ষতা এবং নির্ভুলতা বাড়িয়ে তুলতে পারে, তবুও শিক্ষার্থীদের জন্য বোধগম্যতাকে অবহেলা করে।
অতএব, অ্যালগরিদমগুলোর ক্রমিক দিকগুলো কার্যকরভাবে মোকাবেলা করার জন্য, শিক্ষাবিদদের কোনও সমস্যা সমাধানের জন্য একাধিক পদক্ষেপ প্রয়োগ করার সময় শিক্ষার্থীদের তাদের স্থানিক দক্ষতাগুলো ব্যবহার করতে শেখানো উচিত। উদাহরণস্বরূপ, সমস্যাগুলো সফলভাবে সমাধান করার জন্য কীভাবে সংখ্যাগুলো সারিবদ্ধ এবং সঠিকভাবে ব্যবধান রাখা যায় তা তাদের শিখতে হবে; বিশেষ করে যখন তারা কলাম বিয়োগ, একাধিক অঙ্ক গুণ ইত্যাদি গণনা করে। শিক্ষকদের সমস্যা সমাধানের জন্য তাদের নিজস্ব অ্যালগরিদম বিকাশ এবং ব্যবহার করতে শিক্ষার্থীদের উত্সাহিত করা উচিত। তারা তাদের শিক্ষার্থীদের অ্যালগরিদমের সাথে স্মৃতিবিদ্যা অন্তর্ভুক্ত করতে উত্সাহিত করতে পারে; এই পদ্ধতির তাদের সমস্যা সমাধানের পদ্ধতির মতো জিনিসগুলো মনে রাখতে সহায়তা করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, পিইডিএমএএস অপারেশন চালানোর সময় তাদের অর্ডারটি বলতে পারে। কেবল বাম থেকে ডানে একটি গাণিতিক অপারেশন সমাধান করার পরিবর্তে, তারা এখন বুঝতে পারে যে তাদের প্রথমে বন্ধনীগুলো সমাধান করতে হবে। অধিকন্তু, শিক্ষকদের উচিত ছাত্রদের একটি উত্তর সমাধানের চেষ্টা করার আগে প্রথমে পুরো সমস্যাটি দেখতে বলা, তারপরে তাদের শেখানো উচিত যে কীভাবে সমস্যাটিকে ছোট ছোট অংশে বিভক্ত করা যায় এবং অ্যালগরিদমগুলো ব্যবহার করে কোন অংশগুলোর প্রয়োজন হবে তা নির্ধারণ করা। তাদের প্রতিটি অংশের জন্য কোন অ্যালগরিদম প্রয়োগ করা উচিত তাও জানা উচিত; এবং অবশেষে, তাদের প্রতিটি পদক্ষেপের জন্য তাদের উত্তরগুলো প্রতিফলিত করা উচিত। পদক্ষেপগুলো দেখানোর মাধ্যমে, শিক্ষার্থীরা সর্বদা তাদের ভুলগুলো ট্র্যাক করতে পারে এবং শেষ পর্যন্ত একটি সঠিক সমাধানে আসতে পারে।
=== শব্দ সমস্যা কৌশল ===
শব্দ সমস্যাগুলো সমস্ত শিশুদের জন্য একটি বিশেষ কেস উপস্থাপন করে, তবে বিশেষত যারা সমস্যা সমাধানের শেখার অক্ষমতা রয়েছে। গণনামূলক সমস্যা এবং শব্দ সমস্যার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য হলো ভাষাগত তথ্য সংযোজন। অন্য কথায়, লিখিত সমস্যাটিকে একটি গণনামূলক সংখ্যা বাক্যে অনুবাদ করার জন্য শিশুদের প্রথমে লিখিত শব্দগুলো পড়তে হবে এবং তথ্যটি ফিল্টার করতে হবে। সমস্যাটির প্রকৃত গণিত অংশটি শেষ করার আগে শিশুদের অবশ্যই অনুপস্থিত তথ্যের পাশাপাশি প্রাসঙ্গিক তথ্য সনাক্ত করতে হবে।
শব্দ সমস্যাগুলো অনেক শিক্ষার্থীর পক্ষে বোঝার জন্য চ্যালেঞ্জিং তবে শিক্ষার্থীর প্রথম ভাষা ইংরেজি না হলে সমস্যাটি আরও জটিল হয়। জান, এস এবং রড্রিগস, এস (২০১২) মতে, দ্বিতীয় ভাষা হিসাবে ইংরেজি সহ শিশুরা ভাষার বাধার কারণে সমস্যার বিবৃতিগুলো বুঝতে পারে না। তারা মূল শব্দের উপর নির্ভর করে বা সমস্যার বিবৃতিটি ভুল ব্যাখ্যা করে এবং তাই তাদের ফলস্বরূপ সমাধানটি ভুল হতে পারে। মূল শব্দের উপর নির্ভর করা শিক্ষার্থীদের সমস্যাটি বোঝার চেষ্টা থেকে বিভ্রান্ত করতে পারে। "মূল শব্দগুলো দৈনন্দিন ভাষা এবং গাণিতিক ভাষার মধ্যে পার্থক্য করার ক্ষেত্রে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে পারে।
এই গবেষণা থেকে প্রাপ্ত ফলাফলগুলো পরামর্শ দেয় যে ক্লাস বা ছোট গ্রুপ আলোচনা শিক্ষার্থীদের সমস্যার প্রকৃতি স্পষ্ট করার সুযোগ দেবে যাতে তারা কী দেওয়া হচ্ছে এবং কী জিজ্ঞাসা করা হচ্ছে তা বুঝতে পারে। শিক্ষার্থীদের পড়ার, বোঝার, একে অপরের ধারণাগুলো ভাগ করে নেওয়ার এবং বিভিন্ন কৌশল থেকে সমস্যা এবং সমাধান বিবেচনা করার সুযোগ প্রদান করা শিক্ষার্থীদের সমস্যাটির আরও বেশি বোঝার সুযোগ দেবে।
শব্দ সমস্যাগুলো শেখানোর জন্য একটি জ্ঞানীয় পদ্ধতি গ্রহণের ক্ষেত্রে, শিক্ষকের পক্ষে শিক্ষার্থীদের শব্দ সমস্যার অর্থ সম্পর্কে চিন্তাভাবনা এবং আলোচনা করার পর্যাপ্ত সুযোগ প্রদান করা এবং তারপরে তাদের সহপাঠীদের সাথে একাধিক সমাধান বিবেচনা করা গুরুত্বপূর্ণ। এই পদ্ধতির ভাষা বাধা রয়েছে এমন শিক্ষার্থী এবং গণিত শেখার প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী উভয়ের জন্যই মূল্যবান।
লার্নিং ডিসেবিলিটিজ কাউন্সিল সমস্যা সমাধানে শিক্ষার্থীদের নির্দেশ দেওয়ার জন্য নিম্নলিখিত কয়েকটি কৌশল সুপারিশ করে:
''- দ্রুত ড্র'' (মার্সার এবং মিলার, ১৯৯২) আপনি কী সমাধান করছেন তা সন্ধান করুন। নিজেকে জিজ্ঞাসা করুন, "সমস্যার অংশগুলো কী কী? সংখ্যাগুলো সেট আপ করুন। সাইনবোর্ড বেঁধে দিন।
চিহ্নটি আবিষ্কার করুন। সমস্যাটি পড়ুন। উত্তর দিন, বা আঁকুন এবং পরীক্ষা করুন। উত্তরটি লিখুন।
''- প্রশ্ন এবং ক্রিয়া'' (রিভেরা, ১৯৯৪) পদক্ষেপ একটি। সমস্যাটি পড়ুন। প্রশ্ন এমন কোন শব্দ আছে যা আমি জানি না? আমি কি জানি প্রতিটি শব্দের অর্থ কী? আমার কি সমস্যাটি আবার পড়তে হবে? সংখ্যার শব্দ আছে কি? ক্রিয়া শব্দগুলো আন্ডারলাইন করুন। জেনে নিন সংজ্ঞা। আবার পড়ুন। আন্ডারলাইন করুন। b. সমস্যাটি পুনর্ব্যক্ত করুন। কোন তথ্যটি গুরুত্বপূর্ণ? কোন তথ্যের প্রয়োজন নেই? কী সেই প্রশ্ন? আন্ডারলাইন করুন। ক্রস আউট। নিজের কথায় রাখুন। গ. একটি পরিকল্পনা তৈরি করুন। ঘটনা কী? কীভাবে তাদের সংগঠিত করা যায়? কয়টি ধাপ আছে? আমি কোন অপারেশন ব্যবহার করব? একটি তালিকা তৈরি করুন। চার্ট বিকাশ করুন। ম্যানিপুলেটিভস ব্যবহার করুন। ছোট সংখ্যা ব্যবহার করুন। একটি অপারেশন নির্বাচন করুন। ঘ. সমস্যাটি গণনা করুন। আমি কি সঠিক উত্তর পেয়েছি? অনুমান করুন। সঙ্গীর সাথে চেক করুন। ক্যালকুলেটর দিয়ে যাচাই করুন। ই। ফলাফল পরীক্ষা করুন। আমি কি প্রশ্নের উত্তর দিয়েছি? আমার উত্তরটি কি যৌক্তিক বলে মনে হচ্ছে? আমি কি প্রশ্ন/উত্তর দিতে পারি? প্রশ্নটি আবার পড়ুন। প্রশ্ন/উত্তর চেক করুন। একটি সংখ্যা বাক্য লিখুন।
৩. ''টিনস স্ট্র্যাটেজি'' (ওয়েন, ২০০৩) শব্দ সমস্যাগুলো বিশ্লেষণ এবং সমাধানের জন্য ব্যবহৃত বিভিন্ন পদক্ষেপগুলো এই সংক্ষিপ্ত বিবরণ দিয়ে প্রতিনিধিত্ব করা হয়। চিন্তা: এই সমস্যা সমাধানের জন্য আপনাকে কী করতে হবে তা ভেবে দেখুন এবং মূল শব্দগুলো বৃত্তাকার করুন। তথ্য: এই সমস্যা সমাধানের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য বৃত্তাকার করুন এবং লিখুন; একটি ছবি আঁকুন; অপ্রয়োজনীয় তথ্য ক্রস করুন। সংখ্যার বাক্য: সমস্যাটি উপস্থাপন করতে একটি সংখ্যা বাক্য লিখুন। সমাধান বাক্য: একটি সমাধান বাক্য লিখুন যা আপনার উত্তরটি ব্যাখ্যা করে। উদাহরণ: কাইল ৬ বেসবল কার্ড কিনেছিল। পরের দিন, তিনি তার সংগ্রহে আরও ১১ টি কার্ড যুক্ত করেছিলেন। তার কাছে মোট কয়টি কার্ড আছে? ভাবনাঃ + তথ্য: ৬ বেসবল কার্ড, ১১ বেসবল কার্ড সংখ্যা বাক্য: ৬ + ১১ = সমাধান বাক্য: কাইলের সংগ্রহে ১৭ টি বেসবল কার্ড রয়েছে।
৪. ''সমস্যা সমাধান'' (বিরশ, লিয়ন, ডেনকলা, অ্যাডামস, মোটস এবং স্টিভস, ১৯৯৭) আগে সমস্যাটা পড়ুন। প্রশ্নটি হাইলাইট করুন। গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বৃত্তাকার করুন। একটি পরিকল্পনা বিকাশ করুন। সংখ্যাগুলো উপস্থাপন করতে ম্যানিপুলেটিভ ব্যবহার করুন। পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করুন। আপনার কাজ চেক করুন।
=== বীজগণিত শেখানোর জন্য জ্ঞানীয় শিক্ষক ===
১৯৮৫ সালে, অ্যান্ডারসন, বয়েল এবং রেইগসার ইন্টেলিজেন্ট টিউটরিং সিস্টেমগুলোতে জ্ঞানীয় মনোবিজ্ঞানের শৃঙ্খলা যুক্ত করেছিলেন। তখন থেকে, বুদ্ধিমান টিউটরিং সিস্টেমটি শিক্ষার্থীদের জ্ঞান অর্জনের জন্য জ্ঞানীয় মডেল তৈরির জন্য এই পদ্ধতিটি গ্রহণ করেছিল যার নাম দেওয়া হয়েছিল জ্ঞানীয় টিউটর। [® ট্রেডমার্কের মালিক কার্নেগি লার্নিং, ইনকর্পোরেটেড বীজগণিত I, II, বীজগণিতের সেতু, জ্যামিতি এবং ইন্টিগ্রেটেড ম্যাথ I, II, III সহ পূর্ণ-স্কেল জ্ঞানীয় টিউটর® বিকাশ করছে। কগনিটিভ টিউটরে® এখন স্প্যানিশ মডিউলও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
==== কিভাবে শেখাবেন ====
দুটি অন্তর্নির্মিত অ্যালগরিদম, '''''মডেল ট্রেসিং''''' এবং '''''জ্ঞান ট্রেসিং''''' সফ্টওয়্যার ব্যবহারের সময় শিক্ষার্থীদের শেখার নিরীক্ষণে সহায়তা করতে পারে। মডেল ট্রেসিং জাস্ট-ইন-টাইম প্রতিক্রিয়া, অন-ডিমান্ড ইঙ্গিতগুলো সরবরাহ করতে পারে এবং শিক্ষার্থীদের পারফরম্যান্স ট্রেসের প্রতিটি পদক্ষেপের উপর ভিত্তি করে সামগ্রী-নির্দিষ্ট পরামর্শ দিতে পারে। জ্ঞান ট্রেসিং পূর্বের জ্ঞানের উপর ভিত্তি করে প্রতিটি ব্যবহারকারীর জন্য শেখার কাজগুলো পৃথক করতে পারে।
কগনিটিভ টিউটর কীভাবে জাস্ট-ইন-টাইম ফিডব্যাক, অন-ডিমান্ড ইঙ্গিত, বিষয়বস্তু-নির্দিষ্ট পরামর্শ এবং ব্যক্তিগতকৃত কাজগুলোর মাধ্যমে বীজগণিত শেখার সুবিধার্থে আরও বিশদ তথ্য পেতে আপনি ''সমস্যা সমাধান, সমালোচনামূলক চিন্তাভাবনা এবং যুক্তি'' (২.৫.২ জ্ঞানীয় টিউটরের তাত্ত্বিক পটভূমি) অধ্যায়ে যেতে পারেন।
==== কগনিটিভ টিউটর® বীজগণিত প্রথম ====
জ্ঞানীয় টিউটরদের কার্যকারিতা সম্পর্কে, পূর্ববর্তী গবেষণা প্রমাণ শ্রেণীকক্ষের নির্দেশনার চেয়ে জ্ঞানীয় টিউটরদের কার্যকারিতাকে বেশি সমর্থন করে।[১][২][৩][৪] তবে, মার্কিন শিক্ষা বিভাগের শিক্ষা বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট দ্বারা প্রতিষ্ঠিত সাম্প্রতিক স্বাধীন বৃহৎ পরিসরের গবেষণা, হোয়াট ওয়ার্কস ক্লিয়ারিংহাউস, [৫], জ্ঞানীয় টিউটর® বীজগণিত I-এর উপর ২২টি গবেষণার মধ্যে ৬টি পর্যালোচনা করেছে, যার মধ্যে ১১৮টি স্থানে ৮-১৩ শ্রেণীর ১২,৮৪০ জন শিক্ষার্থী অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। গবেষকরা দেখেছেন যে জ্ঞানীয় টিউটর® বীজগণিত I বীজগণিতের উপর মিশ্র প্রভাব ফেলে এবং মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের জন্য সাধারণ গণিত অর্জনের উপর কোনও পরিসংখ্যানগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ বা উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলে না।
মর্গান এবং রিটার, [৬] মুর, ওকলাহোমার পাঁচটি ভিন্ন স্কুলে নবম শ্রেণীর বীজগণিত ক্লাসে একটি শিক্ষক-সহ একটি পরীক্ষা পরিচালনা করেছিলেন। এই গবেষণায়, প্রতিটি শিক্ষককে কমপক্ষে একটি জ্ঞানীয় টিউটর® বীজগণিত I সমন্বিত শ্রেণীকক্ষ এবং একটি ঐতিহ্যবাহী শ্রেণীকক্ষ বরাদ্দ করা হয়েছিল। অনুসন্ধানে দেখা গেছে যে, কগনিটিভ টিউটর® অ্যালজেব্রা I ব্যবহার করে যারা শিখেছে তারা তাদের সমবয়সীদের তুলনায় ভালো ফলাফল করেছে যারা সফটওয়্যার ব্যবহার করেনি, এবং গণিতের প্রতি ইতিবাচক মনোভাব, যেমন গণিতে আত্মবিশ্বাস বেশি ছিল।
ক্যাবালো, জ্যাকিউ এবং ভু[৭] হাওয়াইয়ের মাউই কাউন্টির পাঁচটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কগনিটিভ টিউটর® অ্যালজেব্রা I এর কার্যকারিতা পরীক্ষা করার জন্য একটি এলোমেলো পরীক্ষা পরিচালনা করেছে। কগনিটিভ টিউটর® অ্যালজেব্রা I বাস্তবায়নের ছয় মাস পর, শিক্ষার্থীদের ২০০৫-০৬ শিক্ষাবর্ষের শেষে NWEA অ্যালজেব্রা এন্ড-অফ-কোর্স অ্যাচিভমেন্ট লেভেল পরীক্ষা দিতে হয়েছিল। অনুসন্ধানে দেখা গেছে যে, সামগ্রিকভাবে কগনিটিভ টিউটর® সফ্টওয়্যারের প্রতি শিক্ষার্থীদের ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করা হয়েছে এবং বেশিরভাগ শিক্ষার্থী, সফটওয়্যার ব্যবহার করুক বা না করুক, গণিত পরীক্ষায় উন্নতি দেখিয়েছে। তবে, কগনিটিভ টিউটর® ব্যবহার করার আগে যাদের স্কোর কম ছিল তারা উচ্চ প্রাথমিক স্কোর প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নতি করেছে।
ক্যাম্পুজানো, ডাইনারস্কি, আগোডিনি এবং রাল[৮] প্রযুক্তি-ভিত্তিক শিক্ষার কার্যকারিতার উপর কংগ্রেস কর্তৃক নির্দেশিত একটি ২ বছরের গবেষণা পরিচালনা করেছেন, যার মধ্যে চারটি জেলার নয়টি উচ্চ-দারিদ্র স্কুলে দ্বিতীয় বর্ষে কগনিটিভ টিউটর® অ্যালজেব্রা I নিয়োগ করা অন্তর্ভুক্ত। গবেষকরা এলোমেলোভাবে নিয়ন্ত্রিত পরীক্ষার পদ্ধতি গ্রহণ করেছেন এবং শিক্ষকদের এলোমেলোভাবে সফ্টওয়্যার ব্যবহার করার জন্য অথবা বিদ্যমান স্কুল পাঠ্যক্রম ব্যবহার চালিয়ে যাওয়ার জন্য নিয়োগ করেছেন। সমস্ত শিক্ষার্থীকে শরৎ এবং বসন্তে ETS শেষ কোর্স পরীক্ষা দেওয়া হয়েছিল, এবং যারা সফ্টওয়্যারটি ব্যবহার করেছিলেন তাদের প্রথম বছরের তুলনায় দ্বিতীয় বর্ষে উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি স্কোর ছিল। তবে, হস্তক্ষেপ গোষ্ঠী এবং তুলনামূলক গোষ্ঠীর মধ্যে পরীক্ষার স্কোরের পার্থক্য খুব কম (p<০.৩)।
পেন, গ্রিফিন, ম্যাক্যাফ্রে এবং কারাম[৯] আমেরিকায় প্রযুক্তি-সমন্বিত বীজগণিত পাঠ্যক্রমের কার্যকারিতা পরীক্ষা করার জন্য এলোমেলোভাবে নিয়ন্ত্রিত পরীক্ষা গ্রহণ করেছেন। গবেষণাটি টানা দুই স্কুল বছর ধরে চলেছিল এবং কগনিটিভ টিউটর® অ্যালজেব্রা I সফ্টওয়্যারটি শিক্ষক-নির্দেশিত শ্রেণীকক্ষের নির্দেশনা (সপ্তাহে ৩ দিন) এবং কম্পিউটার-নির্দেশিত নির্দেশনা (সপ্তাহে ২ দিন) উভয় ক্ষেত্রেই প্রয়োগ করা হয়েছিল। উচ্চ বিদ্যালয়ের ফলাফলগুলি প্রথম স্কুল বছরে ইন্টারভেনশন গ্রুপ এবং তুলনামূলক গ্রুপের শিক্ষার্থীদের মধ্যে শেখার সাফল্যের সামান্য পার্থক্য দেখিয়েছে (p<০.৪৬)। তবে, প্রমাণগুলি দৃঢ়ভাবে দ্বিতীয় বছরে (p<০.০৪) কগনিটিভ টিউটর® অ্যালজেব্রা I সংহত করার সুবিধাগুলিকে সমর্থন করে, ইন্টারভেনশন গ্রুপের কম কৃতিত্বের শিক্ষার্থীদের একই গ্রুপের উচ্চ-কর্মক্ষমতা সম্পন্ন শিক্ষার্থীদের তুলনায় বেশি উন্নতি হয়েছে।
== শব্দকোষ ==
'''অ্যালগরিদম''' গণিতের একটি ধারাবাহিক ধাপ সহ একটি পদ্ধতি যা যখন কোনও গাণিতিক সমস্যা সমাধানের জন্য যথাযথভাবে ব্যবহার করা হয়, তখন এটি একটি সঠিক সমাধান দেয়।
'''প্রয়োগ''' ঘটে যখন শিক্ষার্থীরা গাণিতিক ধারণা এবং দৈনন্দিন জীবনের পরিস্থিতির মধ্যে সংযোগ তৈরি করতে সক্ষম হয়।
'''ব্যাখ্যা''' ঘটে যখন শিক্ষার্থীরা কোনও সমস্যার দিকগুলো সনাক্ত করে এবং বিশ্লেষণ করে, এটি তাদের সমস্যা সমাধানের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য ব্যাখ্যা করতে দেয়।
'''শ্রেণিবিন্যাস''' হলো অনুরূপ বৈশিষ্ট্যের উপর ভিত্তি করে বস্তুর গোষ্ঠীভুক্তকরণের ক্ষমতা।
'''ধারণাগত জ্ঞান''' হলো মানসিক কাঠামো যা শিক্ষার্থীদের যুক্তি এবং গণিতের বোঝার প্রচার করে।
'''ঘোষণামূলক জ্ঞান''' হলো যখন গাণিতিক ধারণাগুলো, যা বাস্তব জ্ঞান, দীর্ঘমেয়াদী স্মৃতি থেকে পুনরুদ্ধার করা হয়; অতএব, অন্যান্য জটিল গাণিতিক সমস্যা সমাধানের জন্য এই ধারণাগুলো ব্যবহার করে।
'''মূল্যায়ন''' ঘটে যখন শিক্ষার্থীরা কোনও সমস্যা সমাধানের সঠিকতা নির্ধারণ করতে একটি নির্দিষ্ট রুব্রিক ব্যবহার করতে পারে।
'''অনুমান''' ঘটে যখন শিক্ষার্থীরা নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে সাধারণ ধারণাগুলো ব্যবহার করতে এবং বস্তুর মধ্যে মিল এবং পার্থক্যগুলো আলাদা করতে সক্ষম হয়।
'''অন্তর্নিহিত প্রেরণা''' হলো যখন শিক্ষার্থীরা মূলত তাদের নিজস্ব ব্যক্তিগত স্বার্থের জন্য সম্পাদন করতে চায়।
'''মেটাকগনিটিভ''' হলো জ্ঞান যা কারও চিন্তাভাবনা এবং শেখার নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যবহৃত হয়।
'''পদ্ধতিগত জ্ঞান''' হলো কৌশল পদক্ষেপের ক্রম ব্যবহার করে গাণিতিক সমস্যাগুলো কীভাবে সমাধান করা যায় সে সম্পর্কে জ্ঞান।
'''সেরিয়েশন''' হলো দৈর্ঘ্য, ওজন বা ভলিউমের মতো আকারের উপর ভিত্তি করে ছোট থেকে বড় অবজেক্টগুলো অর্ডার করার ক্ষমতা।
'''স্ব-নিয়ন্ত্রিত শিক্ষা''' হলো নিজের শেখার নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা, পরিকল্পনা করা থেকে শুরু করে পরে কীভাবে পারফরম্যান্সের মূল্যায়ন করা হয়।
'''স্বল্পমেয়াদী স্মৃতি''' অস্থায়ীভাবে তথ্য সংরক্ষণের জন্য দায়ী যা অবশ্যই ব্যবহার করা উচিত, তবে অগত্যা ম্যানিপুলেটেড নয়।
'''কার্যকর স্মৃতি''' হলো সিস্টেমটি অস্থায়ীভাবে নতুন বা পূর্বে সঞ্চিত তথ্য ধারণ করার জন্য দায়ী যা বর্তমান টাস্ক সমাপ্তির জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে।
== প্রস্তাবিত পাঠ ==
# নবীন শিক্ষকদের গণিতের সমস্যা সমাধানের বিশ্বাস এবং উপলব্ধির একটি কেস স্টাডি। ''Baker, C. K. (২০১৫)। নবীন শিক্ষকদের গণিতের সমস্যা সমাধানের বিশ্বাস এবং উপলব্ধির একটি কেস স্টাডি। গবেষণামূলক অ্যাবস্ট্রাক্ট ইন্টারন্যাশনাল সেকশন এ, ৭৫''
# পাইগেট এবং ভাইগটস্কি: অনেক সাদৃশ্য, এবং একটি গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য। ''Lourenço, O. (২০১২)। পাইগেট এবং ভাইগটস্কি: অনেক সাদৃশ্য, এবং একটি গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য। মনোবিজ্ঞানে নতুন ধারণা, ৩০ (৩), ২৮১-২৯৫। ডিওআই:১০.১০১৬/j.newideapsych.২০১১.১২.০০৬''
== তথ্যসূত্র ==
ফুচস, এলএস, ফুচস, ডি, স্টুবিং, কে, ফ্লেচার, জেএম, হ্যামলেট, সিএল, এবং ল্যামবার্ট, ডাব্লু (২০০৮)। সমস্যা সমাধান এবং গণনামূলক দক্ষতা: তারা গাণিতিক জ্ঞানের ভাগ বা স্বতন্ত্র দিক? শিক্ষাগত মনোবিজ্ঞান জার্নাল ১০০ (১), ৩০
হানিচ, এলবি, জর্ডান, এনসি, কাপলান, ডি, এবং ডিক, জে (২০০১)। "শেখার প্রতিবন্ধী শিশুদের মধ্যে গাণিতিক জ্ঞানের বিভিন্ন ক্ষেত্র জুড়ে পারফরম্যান্স"। শিক্ষাগত মনোবিজ্ঞান জার্নাল, ৯৩, ৬১৫–৬২৬।
রাউর্ক, বিপি, এবং ফিনলেসন, এমএজে (১৯৭৮)। "একাডেমিক দক্ষতার নিদর্শনগুলোর বিভিন্নতার নিউরোপাইকোলজিকাল তাত্পর্য: মৌখিক এবং ভিজ্যুয়াল-স্থানিক ক্ষমতা"। অস্বাভাবিক শিশু মনোবিজ্ঞান জার্নাল, ৬, ১২১–১৩৩।
সোয়ানসন, এইচএল, এবং বিবে-ফ্রাঙ্কেনবার্গার, এম (২০০৪)। "গুরুতর গণিতের অসুবিধার ঝুঁকিতে থাকা এবং ঝুঁকিতে থাকা শিশুদের মধ্যে কার্যকর স্মৃতি এবং গাণিতিক সমস্যা সমাধানের মধ্যে সম্পর্ক"। শিক্ষাগত মনোবিজ্ঞান জার্নাল, ৯৬, ৪৭১–৪৯১।
সোয়ানসন, এইচ এল (২০০৩)। "শেখার অক্ষম এবং দক্ষ পাঠকদের কাজের মেমরিতে বয়স-সম্পর্কিত পার্থক্য"। পরীক্ষামূলক শিশু মনোবিজ্ঞান জার্নাল, ৮৫, ১–৩১।
{{সূত্র তালিকা}}
r7x1qfsi79p892dljktmw3dexixb82b
84662
84660
2025-06-17T18:54:28Z
NusJaS
8394
/* গণিত শেখার ক্ষেত্রে কার্যকর স্মৃতির গুরুত্ব */
84662
wikitext
text/x-wiki
গণিতের বিভিন্ন শাখা রয়েছে যেমন জ্যামিতি, বীজগণিত, ক্যালকুলাস এবং সম্ভাব্যতা; প্রতিটি ক্ষেত্রেই রয়েছে বিশেষ ধরনের ধারণা ও পদ্ধতির দক্ষতা অর্জনের প্রয়োজন। শিক্ষাদান এবং শেখার ক্ষেত্রে যে চ্যালেঞ্জগুলো থাকে, তা বোঝা ও অতিক্রম করা যায় জ্ঞানীয় প্রক্রিয়ার বিশ্লেষণের মাধ্যমে। এই অধ্যায়ে আমরা গণিত শিক্ষায় প্রাসঙ্গিক জ্ঞানীয় তত্ত্ব ও গবেষণা পর্যালোচনা করব। আমরা পাইজেটের জ্ঞানীয় বিকাশ তত্ত্বের প্রাসঙ্গিক দিকগুলো এবং এই তত্ত্বের সমালোচনা আলোচনা করব। আমরা ব্যাখ্যা করব কীভাবে বিভিন্ন বিষয় একজন শিক্ষার্থীর গণিত শেখার সক্ষমতাকে প্রভাবিত করে এবং কীভাবে শিক্ষকরা পাঠ পরিকল্পনার সময় এই বিষয়গুলো বিবেচনায় নিতে পারেন।
==গণিত কী?==
গণিত হলো সংখ্যা, পরিমাণ, জ্যামিতি এবং স্থান ও এদের পারস্পরিক সম্পর্ক এবং কার্যাবলীর অধ্যয়ন। এটি '''ধারণাগত, প্রক্রিয়াগত এবং ঘোষণামূলক জ্ঞান'''-এর সংমিশ্রণ ব্যবহার করে।<ref>Wong, B., Graham, L., Hoskyn, M., & Berman, J. (Eds.). (2008). ''The ABCs of learning disabilities'' (2nd ed.). Boston: Elsevier Academic Press. </ref> গণিত সমস্যার সফল সমাধানের জন্য শিক্ষার্থীদের এই জ্ঞানসমষ্টি অর্জন করতে হয়। গণিতে সঠিকভাবে সম্পৃক্ত হওয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের আগে ধারণাগত জ্ঞান অর্জন করতে হবে, যার জন্য পূর্বে শেখা ধারণাগুলোর প্রয়োগ দরকার হয়। গণিতের ধারণাগত জ্ঞান অন্য সব গণিত-সম্পর্কিত দক্ষতার উন্নয়নে সহায়তা করে যেমন: ইতিবাচক মনোভাব, প্রক্রিয়াগত দক্ষতা, কৌশলগত পারদর্শিতা এবং অভিযোজিত যুক্তিশক্তি। একটির বিকাশ অন্যগুলোকেও শক্তিশালী করে এবং এতে সামগ্রিক জ্ঞান বৃদ্ধি পায়। অর্থাৎ, ধারণাগত জ্ঞান প্রক্রিয়াগত জ্ঞানকে সমৃদ্ধ করে, এবং এই ধারাটি চলতে থাকে।<ref>Bruning, R., Schraw, G., & Norby, M. (2011). ''Cognitive Psychology and Instruction'' (5th ed.). Boston: Pearson Education.</ref> উদাহরণস্বরূপ, গণিতে অনেক ধরনের অ্যালগরিদম রয়েছে যেগুলো শিক্ষার্থীদের জানা প্রয়োজন। যখন শিক্ষার্থীরা গণিতের মূলনীতি ও ধারণাগুলো পরিষ্কারভাবে বুঝতে পারে, তখন তারা যেকোনো সমস্যার জন্য যথাযথ অ্যালগরিদম বেছে নিয়ে তা প্রয়োগ করতে সক্ষম হয়। এটি ধারণাগত ও প্রক্রিয়াগত জ্ঞানের সংযোগ নির্দেশ করে কারণ শিক্ষার্থীরা অনেক কৌশল শিখলেও সঠিকটি বেছে নেওয়া এবং তা প্রয়োগ করাই মূল বিষয়।<ref>Bruning, R., Schraw, G., & Norby, M. (2011). ''Cognitive Psychology and Instruction'' (5th ed.). Boston: Pearson Education.</ref> এছাড়াও, জটিল গণিত সমস্যার সমাধানে কোনো প্রক্রিয়া সফল হলে বা ব্যর্থ হলে শিক্ষার্থীরা প্রায়ই সেখান থেকে আরও শিখতে পারে। ভুলের মাধ্যমে আত্ম-প্রশ্ন করে তারা নিজের বিদ্যমান জ্ঞান পুনর্গঠন করতে পারে এবং ফলে তাদের ধারণাগত জ্ঞান বৃদ্ধি পায়। ঘোষণামূলক জ্ঞান ধারণাগত ও প্রক্রিয়াগত জ্ঞানের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত কারণ এতে শিক্ষার্থীদের দীর্ঘমেয়াদি স্মৃতি থেকে ধারণা (ধারণাগত জ্ঞান) ও নির্দিষ্ট অ্যালগরিদম (প্রক্রিয়াগত জ্ঞান) পুনরুদ্ধার করতে হয়। এই তিনটি ক্ষেত্রের যেকোনো একটির ঘাটতি গণিত শেখায় অসুবিধা সৃষ্টি করতে পারে।<ref>Wong, B., Graham, L., Hoskyn, M., & Berman, J. (Eds.). (2008). ''The ABCs of learning disabilities'' (2nd ed.). Boston: Elsevier Academic Press.</ref> সুতরাং, এই তিন ধরনের জ্ঞানের সংমিশ্রণ একে অপরের সঙ্গে সংযুক্ত থাকায় তা শিক্ষার প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করে।
==জ্ঞানীয় তত্ত্ব এবং গণিত==
===পাইজেটের জ্ঞানীয় বিকাশ তত্ত্ব===
জঁ পাইজেট জন্ম থেকে কৈশোর পর্যন্ত জ্ঞানীয় বিকাশকে চারটি ধাপে ভাগ করেছেন: সংবেদনশীল গতি (জন্ম থেকে ২ বছর), প্রাক-পরিচালন (প্রায় ২ থেকে ৭ বছর), কংক্রিট অপারেশনাল (প্রায় ৭ থেকে ১১ বছর), এবং ফর্মাল অপারেশনাল (প্রায় ১১ থেকে ১৫ বছর)। যদিও সবাই এই ধাপগুলোতে ভিন্নভাবে অগ্রসর হয়, পাইজেট বিশ্বাস করতেন প্রতিটি শিশু পর্যায়ক্রমে প্রতিটি ধাপ অতিক্রম করবে এবং কেউ কোনো ধাপ বাদ দেবে না কারণ পূর্ববর্তী ধাপ না শেখা পর্যন্ত পরবর্তী ধাপে যাওয়া সম্ভব নয়; সময়ের বিষয় মাত্র।<br />
পাইজেট আরও বলেন, শিশুর শেখা মূলত জন্ম থেকে ২ বছর পর্যন্ত চলাফেরা ও পাঁচটি ইন্দ্রিয়ের মাধ্যমে গঠিত হয়। জন্মের কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই শিশু বস্তু অনুসরণ এবং ধরার চেষ্টা শুরু করে, যা চোখ ও চলন সংক্রান্ত মস্তিষ্কের অংশগুলোকে বিকশিত করতে সাহায্য করে। একবার শিশু বুঝে যায় যে শেখা পুনরাবৃত্তির মাধ্যমে হয়, তখন তারা নিজেরা পরিকল্পনা করে কাঙ্ক্ষিত বস্তু পেতে দক্ষ উপায়ে কাজ করে। পাইজেট দাবি করেন যে এই পর্যায়ে শিশুরা সংখ্যাকে বস্তুর সঙ্গে সংযুক্ত করতে পারে<ref>Piaget, J. (1977). Epistemology and psychology of functions. Dordrecht, Netherlands: D. Reidel Publishing Company.</ref> এবং এমনও প্রমাণ আছে যে শিশুরা সংখ্যার ধারণা ও গণনার কিছু ধারণা ইতোমধ্যেই অর্জন করে<ref>Fuson, K. C. (1988). Children’s counting and concepts of numbers. New York: Springer.</ref>। এই পর্যায়ে শিশুদের গণিত দক্ষতা গঠনের জন্য শিক্ষকরা এমন কার্যক্রম দিতে পারেন যাতে সংখ্যা ও গণনা যুক্ত থাকে। যেমন, ছবি যুক্ত বই পড়ানো যেতে পারে। এতে শিশুরা বস্তুর ছবি ও সংশ্লিষ্ট সংখ্যার মধ্যে সম্পর্ক তৈরি করতে শিখবে এবং পড়া ও অনুধাবন ক্ষমতাও বাড়বে। এই সময়ে পাইজেট দেখিয়েছেন যে শিশুরা নিজেরাই বস্তু ও জ্ঞানের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করতে পারে, যা বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশে সহায়তা করে।<ref>Piaget, J. (1963). The origins of intelligence in children. New York, NY: W.W. Norton & Company, Inc.</ref> যেহেতু পাইজেট মনে করতেন, একজন ব্যক্তির আগে অর্জিত জ্ঞানের ওপর ভিত্তি করে পরবর্তী ধাপে যেতে হয়, তাই সংখ্যা সম্পর্কে শিশুদের বোঝাপড়া বাড়ানোর জন্য এমন কার্যক্রমের মাধ্যমে গণিতের ভিত্তি তৈরি করা উচিত যাতে গণনা অন্তর্ভুক্ত থাকে।<br />
প্রায় ২ থেকে ৭ বছর বয়সে শিশুরা ভাষা, প্রতীকী চিন্তা, আত্মকেন্দ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি এবং সীমিত যৌক্তিকতা অর্জন করে। এই সময়ে তারা সংখ্যা বা ব্লকের মতো বস্তুর মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করতে শেখে। যদিও তারা সংখ্যার কিছু ধারণা অর্জন করে, তবে তাদের যৌক্তিক ক্ষমতা সীমিত থাকে এবং তারা বিপরীত ক্রমে কার্য পরিচালনা করতে পারে না। যেমন, যারা বুঝতে পারে ৫+৩ = ৮, তারা বুঝতে নাও পারে ৩+৫ = ৮। পাইজেটের মতে, কারণ তারা কোনো একটি দিক বুঝলে অন্য দিক হারিয়ে ফেলে। এই সময়ে শিক্ষকেরা শিশুদের দিয়ে নির্দিষ্ট গঠন তৈরি করতে পারে ব্লক দিয়ে। এতে তারা একজাতীয় বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে গোষ্ঠীভুক্ত করতে শিখবে এবং বুঝবে একাধিক উপায়ে এটি তৈরি করা যায়।<ref>Thompson, C. S. (1990). Place value and larger numbers. In J. N. Payne (Ed.), Mathematics for young children (pp. 89–108). Reston, VA: National Council of Teachers of Mathematics.</ref> <br />
৭ থেকে ১১ বছর বয়সে শিশুরা জ্ঞানীয়ভাবে দ্রুত বিকশিত হয়। তারা একাধিক দিক বা মাত্রা বুঝতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, পাইজেট একটি পরীক্ষায় একই পরিমাণ তরলকে ভিন্ন আকারের বোতলে ঢেলে দেখিয়েছিলেন — এই পর্যায়ের শিশুরা বুঝতে পারে তরলের উচ্চতা কেন পরিবর্তন হয়। এই সময়ে ‘শ্রেণিবিন্যাস’ ও ‘সিরিয়েশন’-এর দক্ষতা গড়ে ওঠে<ref>Piaget, J. (1977). Epistemology and psychology of functions. Dordrecht, Netherlands: D. Reidel Publishing Company.</ref>। তারা একজাতীয় বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে বস্তু শ্রেণিবদ্ধ করতে শেখে এবং বৃদ্ধিপ্রাপ্ত বা হ্রাসপ্রাপ্ত মান অনুযায়ী সাজাতে শেখে। যদিও এই পর্যায়ে তারা মৌলিক গণনাগুলো জানতে পারে, তবে বাস্তব সমস্যায় তা প্রয়োগ করতে পারে না। যেমন, ৩টি সারিতে ৫টি ব্লক দিয়ে তৈরি গঠনের সংখ্যা গণনা করতে বললে, তারা গুণের ধারণা ব্যবহার করে না। অর্থাৎ, এই সময়ে তাদের গাণিতিক ধারণাগুলো বাস্তব বস্তুর সঙ্গে সংযুক্ত থাকতে হয়। তারা এখনো পরিমাপের উপর ভিত্তি করে সুনির্দিষ্ট পদ্ধতি তৈরি করতে সক্ষম নয়।<br />
১১ থেকে ১৫ বছর বয়সে শিশুরা নিজেরাই তত্ত্ব তৈরি করতে এবং গণিতের ধারণা গঠন করতে পারে। তারা বিমূর্ত ধারণাকে বাস্তব পরিস্থিতির সঙ্গে মিলিয়ে নিতে পারে। যেমন, তারা এখন অ্যালজেব্রার একটি সমস্যা নিজে নিজে সমাধান করতে পারে, যেখানে আগে শিক্ষককে বাস্তব উদাহরণ দিতে হতো। তারা কারণ নির্ণয়, ব্যাখ্যা, বিশ্লেষণ এবং প্রয়োগ করতে শেখে। শিক্ষকেরা তাদের শেখাতে পারেন কীভাবে শব্দের সমস্যা বিশ্লেষণ করতে হয় এবং কোন তথ্য প্রাসঙ্গিক আর কোনটা নয় তা বোঝাতে হয়।<br />
পাইজেট মনে করতেন, যদি কোনো শিশু কোনো ধারণা বুঝতে ব্যর্থ হয়, তবে সেটির কারণ হচ্ছে সমস্যা থেকে সরাসরি গাণিতিক রূপান্তরে যাওয়ার চেষ্টা। তার মতে, শিশুদের শেখাতে হলে এমন পদ্ধতি নিতে হবে যা তাদের নিজে আবিষ্কার করতে উৎসাহ দেয়, যাতে তারা নিজেরাই ধারণা গড়ে তুলতে পারে, পরিবর্তে শিক্ষক তাদের সরাসরি উত্তর না দিয়ে। <ref>Piaget, J. (1968). Genetic epistemology. New York, NY: Columbia University Press Retrieved June 13, 2003 from the World Wide Web: http://www.marxists.org/reference/subject/philosophy/works/fr/piaget.htm</ref>
=== পাইগেট তত্ত্বের সমালোচনা ===
{| class="wikitable"
!পাইগেটের জ্ঞানীয় বিকাশের বিশ্বাস
!সমালোচনা
|-
|১) শিশুরা বস্তুর স্থায়িত্ব বোঝার বিকাশ শুরু করে
|
* পাইগেট শিশুদের অনুপ্রেরণার প্রয়োজনীয়তা উপেক্ষা করেছিলেন
* শিশুদের স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়
|-
|২) শিশুদের সংবেদনশীল ক্ষমতা এবং জ্ঞানীয় বিকাশ তাদের জন্মের প্রথম ৬ মাসের মধ্যে ঘটে
|
* সমস্ত শিক্ষার্থী একই নয়, তাদের অনন্য দক্ষতার ভিত্তিতে তাদের উচ্চতর বা নিম্ন বিভাগে স্থাপন করা যেতে পারে
|-
|৩) প্রতিটি শিশু একটি নির্দিষ্ট ক্রমে চারটি পর্যায়ের অভিজ্ঞতা অর্জন করবে
|
* পাইগেট বংশগতি, সংস্কৃতি এবং শিক্ষার মতো বাহ্যিক কারণগুলোকে অবহেলা করেছিলেন
|-
|৪) পাইগেট জ্ঞানীয় বিকাশকে নির্দিষ্ট পর্যায়ে পৃথক করে
|
* জ্ঞানীয় বিকাশের পর্যায়গুলো ধীরে ধীরে এবং ক্রমাগত অগ্রগতি হিসাবে দেখা উচিত
|}
যদিও আধুনিককালে শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের জ্ঞানীয় বিকাশ পর্যবেক্ষণের জন্য পাইগেটের তত্ত্ব ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়, তবুও এ নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। অনেক শিক্ষাবিদ পাইগেটের তত্ত্বের উপর নির্ভর করে শিক্ষার্থীদের গাণিতিক শিক্ষার উপযুক্ততা পরিমাপ করেন। অন্যদিকে, হিবার্ট ও কার্পেন্টার মত দিয়েছেন যে, পাইগেটের তত্ত্ব তেমন কার্যকর নির্দেশনা নয়, কারণ বহু গবেষণায় প্রমাণ হয়েছে যে, অনেক শিশু যারা পাইগেটের তত্ত্ব অনুসরণ করতে পারে না, তারাও গাণিতিক ধারণা ও দক্ষতা অর্জনে সক্ষম।<ref>Hiebert, J., and T. P. Carpenter. "Piagetian Tasks as Readiness Measures in Mathematics Instruction: A CriticalReview." EDUCATIONAL STUDIES IN MATHEMATICS 13: 329-345, 1982</ref>
পাইগেট যেখানে শিশুর অভ্যন্তরীণ জ্ঞান অনুসন্ধানের উপর গুরুত্ব দেন এবং বিশ্বাস করতেন যে, জন্ম থেকে দুই বছর পর্যন্ত শিশু বস্তু স্থায়ীত্ব (যেমন: লুকানো বস্তু খোঁজার ধারণা) শেখে, অন্য গবেষকরা বলেন, পাইগেট শিশুদের প্রেরণার প্রয়োজনীয়তাকে অবহেলা করেছেন। বার্গার মনে করেন বাহ্যিক প্রেরণা ও শিক্ষাও গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলে।<ref>Berger, K.S. (1988). The developing person through the life span (2nd ed.). New York: Worth Publishers Ltd.</ref>
ক্যাগান বিশ্বাস করেন, শিশু যখন স্থান পরিবর্তনের পরও বস্তু স্পর্শ করতে পারে, এর পেছনের কারণ তাদের মস্তিষ্কের স্মৃতি ধারণক্ষমতার বৃদ্ধি, পাইগেটের ধারণার মতো নতুন কোনো জ্ঞানীয় গঠনের কারণে নয়।<ref>Berger, K.S. (1988). The developing person through the life span (2nd ed.). New York: Worth Publishers Ltd.</ref>
পাইগেটকে সমালোচনা করা হয়েছে শিশুদের সামর্থ্য নিয়ে অতিরিক্ত সাধারণায়নের জন্য। তিনি সিদ্ধান্তে এসেছিলেন, শিশুর সংবেদনশীলতা ও জ্ঞানীয় বিকাশ জন্মের প্রথম ছয় মাসেই ঘটে। যদিও পাইগেট বিশ্বাস করতেন, প্রতিটি শিশু নির্দিষ্ট ধাপে নির্দিষ্ট ক্রমে অগ্রসর হয়, হেউভেল-পানহুইজে বলেন, পাইগেটের তত্ত্ব ছোট শিশুদের সামর্থ্যকে অবমূল্যায়ন করে। উদাহরণস্বরূপ, তিনি দেখান যে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষকেরা যদি শুধুমাত্র পাইগেটের ধাপভিত্তিক তত্ত্বে বিশ্বাস করেন, তবে তারা শিশুদের প্রতীকের জ্ঞান, গণনার ক্রম ও গাণিতিক ক্রিয়ার সামর্থ্য সম্পর্কে ভুল ধারণা পোষণ করতে পারেন।<ref>Cross, C. (2009). The Early Childhood Workforce and Its Professional Development. In Mathematics learning in early childhood paths toward excellence and equity. Washington, DC: National Academies Press.</ref>
বার্গার আরও বলেন, শিশুদের পার্সেপচুয়াল শেখা (ধারণাগত শেখা) জন্মের আগেই শুরু হতে পারে।<ref>Berger, K.S. (1988). The developing person through the life span (2nd ed.). New York: Worth Publishers Ltd.</ref> যদিও একটি নির্দিষ্ট বয়স অনুযায়ী একটি শিশু নির্দিষ্ট ধাপে থাকবে, তবুও সব শিক্ষার্থী একরকম নয়। তাদের স্বতন্ত্র দক্ষতার ভিত্তিতে তারা হয়তো কোনো উচ্চতর বা নিম্নতর ধাপে অবস্থান করতে পারে।
উদাহরণস্বরূপ, গেলম্যান ও গ্যালিস্টেল দেখান যে, প্রিপারেশনাল ধাপে থাকা শিশুরাও বস্তু গণনার ক্ষেত্রে বিমূর্ত চিন্তা করতে পারে। এছাড়াও, পাইগেট শিশুদের আবেগ ও ব্যক্তিত্ব বিকাশ নিয়ে স্পষ্ট কোনো ধারণা দেননি। যদিও তিনি বুদ্ধিমত্তা ও স্মৃতিশক্তির বিকাশ মাপার কার্যকর পদ্ধতি ব্যাখ্যা করেছেন, তিনি সৃজনশীলতা ও সামাজিক যোগাযোগের গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো উপেক্ষা করেছেন।<ref>Papalia, D. E., Olds, S. W., and Feldman, R. D. (1998). Human development(7th ed.). Boston: McGraw-Hill.</ref>
ক্রিস্টিনা এর্নেলিং যুক্তি দেন যে, উন্নয়নের ধারা বোঝা সম্ভব যদি শিশুদের সঠিক পরিবেশে রাখা যায়। তার মতে, যেকোনো শেখার ধারণা বিশদ শিক্ষাতত্ত্বের উপর ভিত্তি করে হতে হবে এবং জ্ঞানীয় বিকাশ বোঝার জন্য ব্যক্তির সামাজিক ও সাংস্কৃতিক পটভূমির ভিন্নতা স্বীকৃতি দিতে হবে। অর্থাৎ, পাইগেট সংস্কৃতির প্রভাব উপেক্ষা করেছেন। কারণ তার গবেষণা ছিল পশ্চিমা দেশে, তাই তার তত্ত্ব হয়তো শুধু পশ্চিমা সমাজ ও সংস্কৃতিকে প্রতিনিধিত্ব করে।
পাইগেটের মতে, বৈজ্ঞানিক চিন্তা ও আনুষ্ঠানিক চিন্তাশক্তি নির্দিষ্ট ধাপে পৌঁছেই বিকাশ পায়। অন্যদিকে, এডওয়ার্ডস ও অন্যান্য গবেষকরা বলেন, পাইগেটের গবেষণায় নিয়ন্ত্রণ ও নমুনার সীমাবদ্ধতার কারণে তার গবেষণা অবিশ্বস্ত। তারা বলেন, অন্যান্য সংস্কৃতিতে সাধারণ ধাপের অপারেশনগুলো বেশি গুরুত্ব পেতে পারে।<ref>Edwards, L., Hopgood, J., Rosenberg, K., & Rush, K. (2000). Mental Development and Education. Retrieved April 25, 2009, from Flinders University</ref>
বার্গার পাইগেটের নির্দিষ্ট ধাপের বিপক্ষে যুক্তি দেন। তিনি মনে করেন, পাইগেট শিশুদের অভ্যন্তরীণ জ্ঞানের সন্ধানকে গুরুত্ব দিলেও, বংশগতি, সংস্কৃতি ও শিক্ষার মতো বাহ্যিক বিষয়গুলো উপেক্ষা করেছেন। তিনি বলেন, পাইগেটের জ্ঞানীয় বিকাশের ধাপগুলোকে বরং একটানা ধাপে ধাপে অগ্রগতির মতো দেখা উচিত, নির্দিষ্ট করে ভাগ না করে।<ref>Berger, K.S. (1988). The developing person through the life span (2nd ed.). New York: Worth Publishers Ltd.</ref>
পাইগেটের তত্ত্বের আরও সমালোচনা হয়েছে, কারণ তার সর্বশেষ ধাপে জ্ঞানীয় বিকাশ যথেষ্ট স্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করা হয়নি। তিনি মনে করতেন, ১১ থেকে ১৫ বছর বয়সের মধ্যে সবাই বিমূর্ত যুক্তি বিকাশে সক্ষম হয়। অন্যদিকে, প্যাপালিয়া ও অন্যান্যরা বিশ্বাস করেন, সবাই এই সময়ে আনুষ্ঠানিক চিন্তাশক্তি অর্জন করতে পারে না, এবং তাতে তারা অপরিণত নয়—বরং তাদের চিন্তাভাবনার পরিপক্বতার ধরণ ভিন্ন।<ref>Papalia, D.E., Olds, S.W., & Feldman, R.D. (1998). Human development (7th ed.). Boston: McGraw-Hill.</ref>
অতএব, জ্ঞানীয় বিকাশকে বরং একটি অনিয়মিত প্রক্রিয়া হিসেবে বিবেচনা করা উচিত, যেখানে প্রতিটি শিশু ধাপে ধাপে নিজস্ব গুণাবলি ও আচরণগত দক্ষতা অর্জন করে।<ref>Berger, K.S. (1988). The developing person through the life span (2nd ed.). New York: Worth Publishers Ltd.</ref>
=== জ্ঞানীয় ক্ষেত্র= ===
পাইগেটের পর থেকে জ্ঞানীয় তত্ত্ব ও গাণিতিক শিক্ষার মধ্যে সম্পর্ক অনেকদূর এগিয়েছে। অসংখ্য গবেষণায় দেখা গেছে, বিভিন্ন জ্ঞানীয় দক্ষতা ও গাণিতিক দক্ষতার মধ্যে সম্পর্ক রয়েছে। ১৯৭৮ সালেই গবেষকেরা মস্তিষ্ক-সম্পর্কিত আচরণ ও একাডেমিক দক্ষতার মধ্যে সম্পর্ক খুঁজে পান। রাউর্ক ও ফিনলেসন ৯-১৪ বছর বয়সী শেখার অসুবিধায় ভোগা শিশুদের নিয়ে গবেষণা করে দেখান, যেসব শিশুর অ্যারিথমেটিক দক্ষতা নেই, তাদের ডান মস্তিষ্কের গোলার অকার্যকারিতার মতো আচরণ দেখা যায়।<ref>Rourke, B. P., & Finlayson, M. A. J. (1978). Neuropsychological significance of variations in patterns of academic skills: Verbal and visual-spatial abilities. Journal of Abnormal Child Psychology, 6, 121–133.</ref>
সম্প্রতিকালে আরও সূক্ষ্ম জ্ঞানীয় দক্ষতা ও গণিতে ঘাটতির মধ্যকার সম্পর্ক চিহ্নিত হয়েছে।
২০০১ সালে হ্যানিচ, জর্ডান, কাপলান ও ডিক ২য় শ্রেণির শিক্ষার্থীদের গাণিতিক পারফরম্যান্স বিশ্লেষণ করেন।<ref>Hanich, L. B., Jordan, N. C., Kaplan, D., & Dick, J. (2001) Performance across different areas of mathematical cognition in children with learning disabilities. Journal of Educational Psychology, 93, 615–626.</ref>
তারা শিক্ষার্থীদের চারটি দলে ভাগ করেন: সাধারণভাবে সফল শিক্ষার্থী, শুধুমাত্র গণিতে দুর্বল, শুধুমাত্র পড়ায় দুর্বল, এবং উভয় বিষয়ে দুর্বল। প্রত্যেককে সাতটি গাণিতিক পরীক্ষায় অংশ নিতে বলা হয়:
ক) নির্দিষ্ট গণনা খ) গল্পভিত্তিক সমস্যা গ) আনুমানিক গণনা ঘ) স্থানীয় মান ঙ) গণনার নীতি চ) সংখ্যা স্মরণ ছ) লিখিত গণনা।
তারা দেখেন, যারা গণনা ও পড়া উভয় ক্ষেত্রেই দুর্বল, তারা গল্প সমস্যা ও প্রচলিত গণনায় দুর্বল। তবে যারা শুধু গণিতে দুর্বল, তারা শুধু প্রচলিত গণনায় দুর্বলতা দেখায়। এ থেকে গবেষকেরা সিদ্ধান্তে আসেন, গণিতে একাধিক জ্ঞানীয় ক্ষেত্র রয়েছে এবং প্রতিটি ক্ষেত্র মস্তিষ্কের ভিন্ন প্রক্রিয়া ব্যবহার করে।
ফুচস, ফুচস, স্টুয়েবিং, ফ্লেচার, হ্যামলেট ও ল্যাম্বার্ট (২০০৮) লক্ষ্য করেন, প্রচলিত গণনার সফলতা নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ কিছু পূর্বাভাসদাতা হচ্ছে: ক) কর্মরত স্মৃতি খ) দৃশ্য-স্থানিক কর্মরত স্মৃতি গ) মনোযোগ রেটিং ঘ) ধ্বনিতাত্ত্বিক প্রক্রিয়াকরণ ঙ) শব্দভাণ্ডারের জ্ঞান<ref>Fuchs, L. S., Fuchs, D., Stuebing, K., Fletcher, J.M., Hamlett, C. L. , & Lambert, W. (2008). Problem solving and computational skill: Are they shared or distinct aspects of mathematical cognition? Journal of Educational Psychology 100 (1), 30</ref>
তারা এক দীর্ঘমেয়াদি, বৃহৎ পরিসরের গবেষণায় দেখেন, গণনা ও সমস্যার সমাধান—এই দুইটি গণিতের আলাদা ক্ষেত্র হতে পারে। তারা শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করেন: গণনায় দক্ষতা, শব্দ-সমস্যা সমাধান, ধ্বনি প্রক্রিয়া, অ-মৌখিক সমস্যা সমাধান, কর্মরত স্মৃতি, মনোযোগী আচরণ, প্রক্রিয়ার গতি, এবং পাঠ দক্ষতা ইত্যাদিতে। তারা দেখতে পান, মনোযোগী আচরণ ও প্রক্রিয়ার গতি গণনার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখে।
এছাড়াও, তারা লক্ষ্য করেন, কর্মরত স্মৃতি, স্বল্পমেয়াদি স্মৃতি, অ-মৌখিক সমস্যা সমাধান (যেমন দৃশ্যের মাধ্যমে প্যাটার্ন সম্পূর্ণ করা), ধারণা গঠন, এবং ভাষা দক্ষতা (যার মধ্যে পড়াও অন্তর্ভুক্ত) সমস্যা সমাধানের পূর্বাভাসদাতা। ভাষা দক্ষতার ঘাটতি সমস্যার সমাধানে দুর্বল শিক্ষার্থীদের মধ্যে পার্থক্যকারী একটি উপাদান।
==== প্রত্যেক জ্ঞানীয় গণিত ক্ষেত্রের জন্য মস্তিষ্কের প্রক্রিয়া ====
{| class="wikitable"
!গণনার জ্ঞানীয় দক্ষতা
!সমস্যা সমাধানের জ্ঞানীয় দক্ষতা
|-
|গণনার সফলতার পূর্বাভাসদাতা:
|সমস্যা সমাধানের সফলতার পূর্বাভাসদাতা:
|-
|• কর্মরত স্মৃতি
# শ্রবণক্ষম কর্মরত স্মৃতি
# দৃশ্য-স্থানিক কর্মরত স্মৃতি
• মনোযোগ রেটিং • প্রক্রিয়ার গতি • ভাষা দক্ষতা
# ধ্বনিতাত্ত্বিক প্রক্রিয়াকরণ (ধ্বনি শনাক্ত ও পার্থক্য করতে পারা)
# শব্দভাণ্ডার জ্ঞান
|• কর্মরত স্মৃতি
# শ্রবণক্ষম কর্মরত স্মৃতি
• স্বল্পমেয়াদি স্মৃতি • অ-মৌখিক সমস্যা সমাধান (দৃশ্যমান প্যাটার্ন সম্পূর্ণ করার দক্ষতা) • ধারণা গঠন • ভাষা দক্ষতা
# প্রথম ভাষা, সাংস্কৃতিক পার্থক্য
# ধ্বনি, শব্দভাণ্ডার
|}
=== গণিত শেখার ক্ষেত্রে কার্যকর স্মৃতির গুরুত্ব ===
=== গণিত শেখার ক্ষেত্রে কার্যকর স্মৃতির গুরুত্ব ===
'''কার্যকর স্মৃতি''' হলো একটি প্রক্রিয়া যা অস্থায়ীভাবে নতুন বা পূর্বে সঞ্চিত তথ্য ধারণ করে, যা বর্তমান কোনো কাজ সম্পন্ন করার জন্য ব্যবহৃত হয়। এর ধারণক্ষমতা সীমিত। কার্যকর স্মৃতির দুটি ধরণ রয়েছে: শ্রাব্য (auditory) স্মৃতি ও দৃশ্য-স্থানিক (visual-spatial) স্মৃতি। গণিতের গাণিতিক সমস্যার সমাধানের ক্ষেত্রে দৃশ্য-স্থানিক স্মৃতি গুরুত্বপূর্ণ বলে প্রমাণিত হয়েছে। অপরদিকে, শ্রাব্য স্মৃতি সব ধরনের গাণিতিক ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। ব্যক্তিভেদে কার্যকর স্মৃতির ধারণক্ষমতার পার্থক্য হতে পারে তথ্য প্রক্রিয়াকরণের গতি, ব্যক্তির জ্ঞান বা অপ্রাসঙ্গিক তথ্য উপেক্ষা করার দক্ষতার কারণে।<ref>Swanson, H. L., & Beebe-Frankenberger, M. (2004)...</ref> পরিকল্পনা, সংগঠন এবং নমনীয় চিন্তার মতো নির্বাহী কার্যক্রমগুলো কার্যকর স্মৃতিকে প্রভাবিত করতে পারে।<ref>Swanson, H. L. (2003)...</ref>
অন্যদিকে, '''স্বল্পমেয়াদী স্মৃতি''' দায়ী শুধুমাত্র অল্প সময়ের জন্য তথ্য ধারণ করার জন্য, যেগুলো ব্যবহার করতে হবে কিন্তু বিশ্লেষণ বা রূপান্তরের প্রয়োজন নেই। এর ধারণক্ষমতাও সীমিত এবং এটি কয়েক সেকেন্ডের মতোই স্থায়ী হতে পারে। যেমন, একটি টেলিফোন নম্বর আমরা কয়েক সেকেন্ড মনে রাখি শুধু তা ডায়াল করার জন্য।
২০০৪ সালে সোয়ানসন এবং বিবে-ফ্রাঙ্কেনবার্গারর একটি গবেষণায় উপসংহারে পৌঁছেছেন যে, কার্যকর স্মৃতি সমস্যার সমাধানকালে তথ্য একীভূতকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাদের মতে, কার্যকর স্মৃতি গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি "(ক) সম্প্রতি প্রক্রিয়াকৃত তথ্যকে নতুন ইনপুটের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করে এবং (খ) সামগ্রিকভাবে সমস্যার একটি উপস্থাপন গঠনের জন্য তথ্যের সারাংশ সংরক্ষণ করে।"<ref>Swanson, H. L., & Beebe-Frankenberger, M. (2004)...</ref>
এইচ লি সোয়ানসনের সাম্প্রতিক একটি গবেষণায় দেখা গেছে, কার্যকর স্মৃতির ধারণক্ষমতা সমস্যা সমাধানে কৌশলগত হস্তক্ষেপের প্রভাবকে নিয়ন্ত্রণ করে।<ref>Swanson, H. L. (August 4,2015)...</ref> লেখক একটি হস্তক্ষেপমূলক গবেষণা পরিচালনা করেন, যেখানে কার্যকর স্মৃতির ভূমিকা এবং কৌশল শেখানোর ফলে শব্দভিত্তিক সমস্যা সমাধানে সঠিকতা কেমন হয়, তা যাচাই করা হয়।
গবেষণায় সমস্ত শিশুদের শ্রাব্য ও দৃশ্য-স্থানিক কার্যকর স্মৃতির মাপ নেওয়া হয়। এরপর গণিতে সমস্যাযুক্ত এবং অপ্রতিবন্ধিত শিশুদের তিনটি গ্রুপে ভাগ করে র্যান্ডমাইজড কন্ট্রোল ট্রায়াল করা হয়। ১ম দলকে শব্দভিত্তিক কৌশল শেখানো হয়, ২য় দলকে দৃশ্য-স্থানিক কৌশল, এবং ৩য় দলকে উভয় কৌশলের সংমিশ্রণ শেখানো হয়। প্রতিটি দলকে এমন পাঠদান দেওয়া হয় যাতে শব্দ সমস্যা ক্রমাগত অপ্রাসঙ্গিক তথ্যে পরিপূর্ণ হতে থাকে। এই কৌশলের উদ্দেশ্য ছিল শিশুদের প্রাসঙ্গিক তথ্যের প্রতি মনোযোগী হতে শেখানো। পূর্ববর্তী অনেক গবেষণায় দেখা গেছে যে, প্রাসঙ্গিক ও অপ্রাসঙ্গিক তথ্য আলাদা করতে শেখা গণিত সমস্যার সঠিকতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ।
গবেষণার ফলাফল দেখায় যে, কৌশল শেখানো সমস্যা সমাধানে সাহায্য করে। তবে এটি মনে রাখা জরুরি যে, ব্যক্তিভেদে কার্যকর স্মৃতির ক্ষমতা কৌশল শেখানোর প্রভাবকে নিয়ন্ত্রণ করে। কম কার্যকর স্মৃতির শিশুরা তেমন উপকার পায়নি। বরং উচ্চ কার্যকর স্মৃতির শিশুরাই—যাঁদের গণিতে প্রতিবন্ধকতা থাকুক বা না থাকুক—এই কৌশল থেকে বেশি উপকার পেয়েছে। তবে, দৃশ্যগত কৌশল ব্যবহৃত হলে সব ধরনের গণিত প্রতিবন্ধী শিশুরাই উপকার পেয়েছে। কিন্তু যাঁদের কার্যকর স্মৃতি দুর্বল, তাঁদের জন্য শব্দ ও দৃশ্য উভয় কৌশলের সংমিশ্রণ প্রয়োজন। সবশেষে, গবেষণার ফলাফলে বলা হয়েছে যে, কার্যকর স্মৃতির উপর ভিত্তি করে মনোযোগ নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কিত প্রক্রিয়াগুলোর প্রশিক্ষণ ভবিষ্যতে কার্যকর স্মৃতির দক্ষতা উন্নত করতে পারে।
এই গবেষণার তাৎপর্য হলো, গণিতে প্রতিবন্ধকতাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের কার্যকর স্মৃতির ক্ষমতা যাচাই করে তার ভিত্তিতে উপযুক্ত শিক্ষণ কৌশল নির্ধারণ করা উচিত।
== গণিত শেখা ও শেখানোর ওপর প্রভাব ফেলা উপাদান ==
=== ব্যক্তিভেদে পার্থক্য ===
প্রত্যেক শিক্ষার্থীর আলাদা দক্ষতা, পূর্বজ্ঞান, সংস্কৃতি এবং আগ্রহ থাকে। এই বিষয়গুলো গণিত শেখা ও শেখানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ কারণ পাঠদানের কৌশলগুলো শিক্ষার্থীদের অনুযায়ী পরিবর্তন করতে হয়।
==== দক্ষতার পার্থক্য ====
সব শিক্ষার্থীর নিজস্ব শক্তি ও দুর্বলতা থাকে। কেউ কোনো নির্দিষ্ট গাণিতিক ক্ষেত্রে ভালো হলেও, অন্য ক্ষেত্রে দুর্বল হতে পারে। শিক্ষকের উচিত শিক্ষার্থীদের দক্ষতা সম্পর্কে জানা, যাতে তাদের শক্তিকে কাজে লাগিয়ে দুর্বলতাকে উন্নত করা যায়। যদি শিক্ষক শিক্ষার্থীদের দক্ষতা ও দুর্বলতা না জানেন, তবে ভুলভাবে চ্যালেঞ্জ তৈরি হতে পারে, যেটা শিক্ষার্থীর আত্মবিশ্বাস কমিয়ে দিতে পারে এবং ব্যর্থতা থেকে "শিক্ষিত অসহায়ত্ব" তৈরি করতে পারে। সঠিক দক্ষতা জানা থাকলে নতুন গাণিতিক জ্ঞান অর্জনে শিক্ষার্থীদের অসুবিধা হবে না।
উদাহরণস্বরূপ, শব্দ সমস্যা সমাধানের জন্য প্রয়োজন মানসিক উপস্থাপনা ও সাধারণ গাণিতিক রূপান্তর। ফলে, যারা গাণিতিক সমীকরণ গঠন করতে জানে না, তারা এই সমস্যা সমাধানে ব্যর্থ হবে।<ref>Wong, B., Graham, L., Hoskyn, M., & Berman, J. (Eds.). (2008)...</ref> শিক্ষকের উচিত শিক্ষার্থীদের প্রাক-দক্ষতার ওপর ভিত্তি করে পাঠদান কৌশল নির্ধারণ করা, কারণ এই দক্ষতাগুলো সমস্যার সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। শিক্ষার্থীরা যত বেশি ধারণাগত ও প্রক্রিয়াগত দক্ষতা অর্জন করবে, ততই তারা গণিত শেখায় দক্ষ হয়ে উঠবে।<ref>Bruning, R., Schraw, G., & Norby, M. (2011)...</ref>
বর্তমান হাইস্কুলে বিভিন্ন স্তরের গণিত কোর্স থাকে—শুরুর, মূল এবং উন্নত স্তর। শিক্ষার্থীদের নিজস্ব দক্ষতার ভিত্তিতে বিভাগ করা হয় বা তারা নিজেরা স্তর বেছে নিতে পারে। শিক্ষককে উচিত শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা যে তারা সেই স্তরের উপযোগী কিনা। খুব কঠিন হলে শিক্ষার্থী ক্লান্ত হয়ে পড়বে, আবার খুব সহজ হলে বিরক্ত হবে। সঠিক স্তর নির্ধারণের জন্য দক্ষতা জানা আবশ্যক।
==== পূর্বজ্ঞানগত পার্থক্য ====
শিক্ষার্থীদের গাণিতিক জ্ঞান তাদের সামাজিক অভিজ্ঞতা থেকে আসে। বাস্তব জীবনের অভিজ্ঞতা যেমন বাজারে কেনাকাটা করার মাধ্যমে টাকা-পয়সা মেলানো শেখা, গাণিতিক প্রতীক কীভাবে ব্যবহার হয়, সেটা বুঝতে সাহায্য করে। এই বাস্তব জ্ঞান ব্যবহার করে যদি গাণিতিক ধারণা শেখানো হয়, তাহলে শিক্ষার্থীরা সহজে তা বুঝতে পারে।<ref>Wong, B., Graham, L., Hoskyn, M., & Berman, J. (Eds.). (2008)...</ref> বাস্তব পরিস্থিতির সঙ্গে মিল থাকলে শিক্ষার্থীরা গণিত শেখায় বেশি আগ্রহী হয়, কারণ এটি তাদের কাছে অর্থবহ ও প্রাসঙ্গিক মনে হয়। উদাহরণস্বরূপ, পাঠ্যবইয়ের গণিত অনেক শিক্ষার্থীর কাছে বিরক্তিকর মনে হতে পারে, কিন্তু যদি তা ব্যাংকে সুদের হিসাব বা দৈনন্দিন খরচ হিসাবের মতো জীবনের সঙ্গে মেলানো হয়, তাহলে তা সহজ ও আকর্ষণীয় মনে হয়।
গুরুত্বপূর্ণ গণিত সমস্যার জন্য শুধু গণিত নয়, পদার্থবিদ্যা বা রসায়নের মতো বিষয়ের জ্ঞানও প্রয়োজন হতে পারে।<ref>Bruning, R., Schraw, G., & Norby, M. (2011)...</ref> শব্দ সমস্যার ক্ষেত্রে পাঠ্যাংশ বুঝতে ভাষাগত দক্ষতাও প্রয়োজন, যা পূর্বজ্ঞান থেকে আসে। বিশ্ববিদ্যালয় স্তরের অনেক গণিত কোর্সে পূর্বশর্ত কোর্স থাকে, কারণ উন্নত গণিত শেখার জন্য প্রাথমিক ধারণা থাকা আবশ্যক।
==== আগ্রহের পার্থক্য ====
সবার আগ্রহ আলাদা। কেউ গণিত পছন্দ করে কারণ ছোটবেলা থেকেই তারা এই বিষয়ে শক্তিশালী ছিল, আবার কেউ ঘৃণা করে কারণ বারবার ব্যর্থ হয়েছে। আগ্রহ থাকলে অভ্যন্তরীণ মোটিভেশন তৈরি হয় এবং শিক্ষার্থী নিজের ইচ্ছায় গণিত শেখে।<ref>Bruning, R., Schraw, G., & Norby, M. (2011)...</ref> এতে শিক্ষার্থীরা কাজের প্রতি মনোযোগী হয় এবং সমাধানে আন্তরিকতা দেখায়। তাদের আগ্রহ নিজের সামর্থ্য, আত্মবিশ্বাস এবং অর্জনের সঙ্গে জড়িত।<ref>Upadyaya, K., & Jacquelynne, S. E. (2014). How do Teachers’ Beliefs predict Children’s Interests in Math from Kindergarten to Sixth Grade? ''Merrill-Palmer Quarterly, 60''(4). Retrieved from http://web.b.ebscohost.com.proxy.lib.sfu.ca/ehost/pdfviewer/pdfviewer?sid=aaa92fa2-22f8-4cd7-9d94-49896f602e89%40sessionmgr120&vid=0&hid=109</ref>
তাই, শিক্ষার্থীদের একাডেমিক সাফল্য বাড়ানোর জন্য তাদের মধ্যে গণিতের প্রতি আগ্রহ তৈরি করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রকৃতপক্ষে, পরিবারের সদস্য, সহপাঠী এবং শিক্ষকসহ অনেক উপায়ে গণিতের প্রতি আগ্রহ বাড়ানো যায়।<ref>Frenzel, A.C., Goets T., Pekrun R., & Watt, H.M.G. (2010). Development of Mathematics Interest in Adolescence: Influences of Gender, Family and School Context. ''Journal of Research on Adolescence, 20''(2), 507-537. doi:10.1111/j.1532-7795.2010.00645.x</ref>
পরিবারের সদস্যরা ঘরে বসেই শিক্ষার্থীদের গণিতে সহায়তা ও উৎসাহ দিতে পারেন, যা গণিতের প্রতি তাদের মূল্যবোধ বাড়ায়। শিক্ষার্থীরা সাধারণত সামাজিক তুলনা করতে ভালোবাসে এবং তারা সহপাঠীদের অনুসরণ করতে চায়। তাই সহপাঠীদের প্রভাব শিক্ষার্থীদের ওপর বড় ভূমিকা রাখে। যখন শিক্ষার্থীরা দেখে তাদের সহপাঠীরা সুদোকু বা ধাঁধার মতো কোনো গণিতের সমস্যা উপভোগ করছে, তখন তারাও সমাধানে আগ্রহী হয়ে ওঠে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণভাবে, শিক্ষকরা শ্রেণিকক্ষে আনন্দদায়ক ও ইন্টারঅ্যাকটিভ গেমের আয়োজন করতে পারেন এবং শেখানোর সময় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে পারেন।<ref>Frenzel, A.C., Goets T., Pekrun R., & Watt, H.M.G. (2010). Development of Mathematics Interest in Adolescence: Influences of Gender, Family and School Context. ''Journal of Research on Adolescence, 20''(2), 507-537. doi:10.1111/j.1532-7795.2010.00645.x</ref> এটি এমন একটি বিষয় শেখার আগ্রহ তৈরি করবে, যা আগে শিক্ষার্থীরা উপভোগ করতো না। ফলে, শিক্ষকদের উচিত শিক্ষার্থীদের শেখার জন্য আনন্দদায়ক পরিবেশ তৈরি করা যাতে গণিতের প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধি পায়। যদি শিক্ষার্থীরা গণিতকে ঘৃণা করে, তবে তাদের শেখানো অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়ে। তারা তখন কেবল বাধ্য হয়ে পড়ে, আগ্রহ নিয়ে নয়।
==== সাংস্কৃতিক পার্থক্য ====
বিভিন্ন সাংস্কৃতিক পটভূমি থেকে আসা শিক্ষার্থীদের একাডেমিক সাফল্যের স্তর ও লক্ষ্য ভিন্ন হয়ে থাকে।<ref>Tsao, Y-L. (2004). A Comparison of American and Taiwanese Students: Their Math Perception. ''Journal of Instructional Psychology, 31''(3). Retrieved from http://web.b.ebscohost.com.proxy.lib.sfu.ca/ehost/pdfviewer/pdfviewer?sid=97c91599-4222-4cc8-8717-703e6b774b06%40sessionmgr110&vid=19&hid=109</ref> তদুপরি, তাদের সংস্কৃতির ওপর ভিত্তি করে গণিতের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি ভিন্ন হতে পারে। যখন কোনো সংস্কৃতি কোনো বিষয়ে যেমন গণিতে বিশেষ গুরুত্ব দেয়, তখন সেই সংস্কৃতির শিশুদের ছোটবেলা থেকেই স্কুল ও বাড়িতে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। ফলে, এদের গণিতের দক্ষতা তুলনামূলকভাবে বেশি হয়। যারা নিয়মিত গণিত চর্চা করে, তাদের অটোমেটিসিটি (স্বয়ংক্রিয়ভাবে সমাধান করার ক্ষমতা) বেশি হয় কারণ তারা বিভিন্ন গণিত সমস্যার যথেষ্ট অনুশীলন করে। তারা উপযুক্ত কৌশল বেছে নিয়ে দ্রুত সমস্যার সমাধান করতে পারে।<ref>Imbo, I., & LeFevre, Jo-Anne. (2009). Cultural differences in Complex Addition: Efficient Chinese versus Adaptive Belgians and Canadians. ''Journal of Experimental Psychology: Learning, Memory, and Cognition, 35''(6),1465-1476. doi:10.1037/a0017022</ref> অন্যদিকে, যদি কোনো সংস্কৃতি গণিতকে গুরুত্ব না দেয়, তবে সেই সংস্কৃতির শিশুরা কঠোরভাবে শেখে না এবং তাদের দক্ষতার স্তরও কম হয়। কোনও বিষয়ে ভালো করতে হলে স্কুলের পাশাপাশি বাড়িতেও চর্চা করা প্রয়োজন। যারা শুধুমাত্র স্কুলেই গণিত শেখে এবং বাড়িতে সক্রিয়ভাবে চর্চা করে না, তাদের অনুশীলন পর্যাপ্ত নয়। সেইসঙ্গে, এমন সংস্কৃতি যেখানে উচ্চ মান, পরিশ্রম, এবং ইতিবাচক মনোভাবকে মূল্য দেওয়া হয়, সেগুলোর শিক্ষার্থীদের একাডেমিক সাফল্যের সম্ভাবনা বেশি থাকে।<ref>Imbo, I., & LeFevre, Jo-Anne. (2009). Cultural differences in Complex Addition: Efficient Chinese versus Adaptive Belgians and Canadians. ''Journal of Experimental Psychology: Learning, Memory, and Cognition, 35''(6),1465-1476. doi:10.1037/a0017022</ref>
বিভিন্ন সংস্কৃতির ভাষাও ভিন্ন। এর অর্থ, তারা গণিত সমস্যা প্রকাশের ধরনেও পার্থক্য থাকতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে, চীনা সংখ্যার ভাষাগত কাঠামো (যেমন ১৫ মানে "দশ-পাঁচ") ইংরেজির তুলনায় শেখা সহজ। ইংরেজিতে যেমন 12 মানে "twelve" এবং -teen শব্দগুলোর মধ্যে ধারাবাহিকতা থাকে না।<ref>Imbo, I., & LeFevre, Jo-Anne. (2009). Cultural differences in Complex Addition: Efficient Chinese versus Adaptive Belgians and Canadians. ''Journal of Experimental Psychology: Learning, Memory, and Cognition, 35''(6),1465-1476. doi:10.1037/a0017022</ref> চীনা সংখ্যা উচ্চারণ করা ইংরেজির তুলনায় দ্রুত হয়, যা শিক্ষার্থীদের গণিত দক্ষতাকে প্রভাবিত করে। ফলে, চীনা ভাষায় সংখ্যাগুলো স্বল্প-মেয়াদী স্মৃতিতে দীর্ঘ সময় ধরে রাখা যায়, বিশেষ করে বহু-অঙ্কের জটিল সমস্যায়।<ref>Imbo, I., & LeFevre, Jo-Anne. (2009). Cultural differences in Complex Addition: Efficient Chinese versus Adaptive Belgians and Canadians. ''Journal of Experimental Psychology: Learning, Memory, and Cognition, 35''(6),1465-1476. doi:10.1037/a0017022</ref> তাই পাঠদানের কৌশল পরিকল্পনার সময় শিক্ষার্থীদের সাংস্কৃতিক পার্থক্য বিবেচনায় নেওয়া উচিত, কারণ তা গণিত সমস্যার প্রতি তাদের দৃষ্টিভঙ্গি প্রভাবিত করতে পারে।
=== গণিতে আত্ম-দক্ষতা ===
গণিতে শিক্ষার্থীদের আত্ম-দক্ষতা বলতে বোঝায় তারা নিজের সম্পর্কে কতটা বিশ্বাস রাখে যে তারা গণিতের প্রশ্ন সমাধান করতে পারবে। যারা বেশি আত্মবিশ্বাসী তারা গণিত সংশ্লিষ্ট কাজে আরও সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে এবং তাদের একাডেমিক সাফল্যও বেশি হয়। অন্যদিকে, যারা আত্মবিশ্বাস কম রাখে তারা গণিত সমস্যা সমাধানে বেশি দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয় এবং তাদের পারফরম্যান্স কম হয়। তাই, গণিতে আত্ম-দক্ষতা সরাসরি শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ ও সাফল্যের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত।
==== গণিতে আত্ম-দক্ষতার প্রভাব ====
আত্ম-দক্ষতা শিক্ষার্থীদের চিন্তা, বোঝাপড়া এবং শেখার অনুভূতিতে প্রভাব ফেলে। যারা নিজেদের দক্ষ মনে করে, তারা গণিতে ভালো করার ক্ষমতা আছে বলে বিশ্বাস করে।<ref>Schunk, D. H., & Zimmerman, B.J. (2006). Competence and control beliefs: Distinguishing the means and ends. In P.A. Alexander & P.H. Winne (Eds.), Handbook of educational psychology (2nd ed., pp.349-367). Yahweh, NJ: Erlbaum.</ref> এই বিশ্বাসের কারণে তারা আরও উৎসাহী হয়ে পড়ে এবং বেশি পড়াশোনা করে। ফলে, তারা আত্ম-সার্থকতার চক্রে পড়ে, অর্থাৎ তাদের নিজস্ব বিশ্বাস বাস্তব হয়ে ওঠে। বিপরীতে, যারা নিজেকে অদক্ষ মনে করে, তারা ভাবে যতই চেষ্টা করুক, গণিতে সফল হতে পারবে না।<ref>Schunk, D. H., & Zimmerman, B.J. (2006). Competence and control beliefs: Distinguishing the means and ends. In P.A. Alexander & P.H. Winne (Eds.), Handbook of educational psychology (2nd ed., pp.349-367). Yahweh, NJ: Erlbaum.</ref> এ কারণে তারা গণিত চর্চায় অনুপ্রাণিত হয় না এবং কয়েকবার চেষ্টা করেই হাল ছেড়ে দেয়। এতে তাদের "আমি পারি না" বিশ্বাস আরও দৃঢ় হয় এবং সেই অনুযায়ী তারা কাজ করতে থাকে।
==== শিক্ষার্থীদের আত্ম-দক্ষতা মূল্যায়ন ====
শিক্ষার্থীরা গণিতের কোন বিষয় শিখতে আত্মবিশ্বাসী কিনা তা মূল্যায়ন করা জরুরি, কারণ এটি তাদের পারফরম্যান্সকে প্রভাবিত করতে পারে। আত্ম-দক্ষতা মূল্যায়নের একটি উপায় হলো, প্রথম পুরুষে কিছু বিবৃতি তৈরি করা এবং শিক্ষার্থীদেরকে প্রত্যেকটি বিবৃতির জন্য ০ থেকে ১০০ স্কেলে রেট করতে বলা।<ref>Bandura, A. (1997). Self-efficacy: The exercise of control.New York, NY:Freeman.</ref> প্রথমে শিক্ষককে নির্দিষ্ট একটি টপিক বেছে নিতে হবে, যেমন "পৃষ্ঠতলের ক্ষেত্রফল নির্ধারণ"। এরপর সেই বিষয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য বিবৃতিগুলো তৈরি করতে হবে এবং শিক্ষার্থীরা সেগুলোর সত্যতা রেট করবে।
{| class="wikitable"
!রেট (০-১০০)
!বিবৃতি
|-
|৮০
|আমি জানি, প্যারালেলোগ্রামের পৃষ্ঠতলের ক্ষেত্রফল নির্ধারণে কী তথ্য লাগবে।
|-
|১০০
|আমি দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ দেওয়া থাকলে একটি আয়তক্ষেত্রের পৃষ্ঠতলের ক্ষেত্রফল নির্ধারণ করতে পারি।
|-
|৬০
|আমি ট্র্যাপেজিয়ামের ক্ষেত্রফলের সমীকরণ লিখতে পারি।
|-
|৫০
|আমি আমার সহপাঠীকে বোঝাতে পারি কেন ত্রিভুজের ক্ষেত্রফল bxh ÷2 অর্থাৎ, (ভূমি x উচ্চতা) / ২
|-
|৯০
|আমি ৪ সেন্টিমিটার দৈর্ঘ্যের একটি বর্গক্ষেত্রের ক্ষেত্রফল নির্ধারণ করতে পারি।
|}
এই স্কোরগুলো যোগ করে শিক্ষকেরা শিক্ষার্থীর আত্ম-দক্ষতার একটি সামগ্রিক চিত্র পেতে পারেন। উপরিউক্ত উদাহরণে, মোট স্কোর হবে ৮০+১০০+৬০+৫০+৯০। শিক্ষক চাইলে এই আত্ম-দক্ষতার তুলনা শিক্ষার্থীর গণিত বিষয়ে সামগ্রিক আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে করতে পারেন। আত্ম-দক্ষতা শিক্ষার্থীদের শেখার অনুপ্রেরণা ও আচরণকে প্রভাবিত করতে পারে, তাই শিক্ষকদের উচিত সেই অনুযায়ী পাঠ পরিকল্পনা তৈরি করা।
==== শিক্ষার্থীদের আত্ম-দক্ষতার বিকাশ ====
বান্দুরা আত্ম-দক্ষতা বিকাশে চারটি প্রধান উৎস চিহ্নিত করেছেন।<ref>Bandura, A. (1986). Social foundations of thought and action: A social cognitive theory. Englewood Cliffs, NJ, US: Prentice-Hall, Inc.</ref> প্রথমটি হলো শিক্ষার্থীদের সাফল্যের অভিজ্ঞতা।<ref>Bandura, A. (1986). Social foundations of thought and action: A social cognitive theory. Englewood Cliffs, NJ, US: Prentice-Hall, Inc.</ref> যেমন, যদি শিক্ষার্থী কোনো গণিত পরীক্ষায় ভালো ফল করে, তার সেই বিষয়ে আত্মবিশ্বাস বাড়ে। দ্বিতীয়টি হলো বিভিন্ন অভিজ্ঞতা।<ref>Bandura, A. (1986). Social foundations of thought and action: A social cognitive theory. Englewood Cliffs, NJ, US: Prentice-Hall, Inc.</ref> শিক্ষার্থীরা যখন তাদের সমমানের সহপাঠীদের কাজ করতে দেখে, তখন তারা নিজেরও পারবে বলে বিশ্বাস করতে শুরু করে। এমনকি গণিতবিদদের নিয়ে তৈরি ডকুমেন্টারি দেখা পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের আত্ম-দক্ষতা বাড়াতে পারে।<ref>Hekimoglu, S., & Kittrell, E. (2010). Challenging students' beliefs about mathematics: The use of documentary to alter perceptions of efficacy. PRIMUS: Problems, Resources, And Issues In Mathematics Undergraduate Studies, 20(4), 299-331. doi:10.1080/10511970802293956</ref>
তৃতীয় প্রভাবটি হলো সামাজিক প্রভাব।<ref>Bandura, A. (1986). Social foundations of thought and action: A social cognitive theory. Englewood Cliffs, NJ, US: Prentice-Hall, Inc.</ref> এটি শিক্ষার্থীদের ঘনিষ্ঠ মানুষদের (যেমন অভিভাবক, সহপাঠী বা শিক্ষক) কাছ থেকে আসা ইতিবাচক বক্তব্য হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, শিক্ষক যদি বলেন “তুমি বীজগণিতের সমস্যাগুলো এখন আগের থেকে ভালোভাবে সমাধান করতে পারছো,” তাহলে এটি শিক্ষার্থীদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে তোলে।
চতুর্থ প্রভাবটি হলো শিক্ষার্থীদের মানসিক অবস্থা।<ref>Bandura, A. (1986). Social foundations of thought and action: A social cognitive theory. Englewood Cliffs, NJ, US: Prentice-Hall, Inc.</ref> এটি শিক্ষার্থীদের কোনো পরিস্থিতির প্রতি আবেগগত প্রতিক্রিয়াকে বোঝায়। উদাহরণস্বরূপ, একজন শিক্ষার্থী মনে করতে পারে যে গণিত পরীক্ষায় ব্যর্থ হওয়ার কারণ তার অযোগ্যতা, অথচ প্রকৃতপক্ষে সেটা ছিল উদ্বেগের ফল। এই ক্ষেত্রে, শিক্ষার্থী তার ক্ষমতা ভুলভাবে মূল্যায়ন করে এবং গণিত বিষয়ে আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলে। আবার কোনো শিক্ষার্থী পরীক্ষায় ভালো করলেও সেটিকে নিজের দক্ষতা নয়, বরং ভাগ্যের কারণে হয়েছে বলে মনে করতে পারে। এর ফলে, সে আত্মবিশ্বাস গঠনের একটি সুযোগ হারিয়ে ফেলে। সুতরাং, ইতিবাচক বা নেতিবাচক যেকোনো অভিজ্ঞতার প্রতি শিক্ষার্থীর দৃষ্টিভঙ্গি তার আত্মদক্ষতা গঠনে প্রভাব ফেলে। এই ক্ষেত্রে আত্মদক্ষতা বাড়ানোর উপায় হলো শিক্ষার্থীদের তাদের প্রকৃত দক্ষতা চেনাতে সহায়তা করা এবং তাদের দক্ষতার প্রতি ইতিবাচক অনুভূতি তৈরি করা।
উশের একটি গবেষণা পরিচালনা করেছেন, যেখানে তিনি শিক্ষার্থী, অভিভাবক এবং শিক্ষকদের সাক্ষাৎকার নিয়ে মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের গণিত বিষয়ক আত্মদক্ষতার চারটি উৎস যাচাই করেন।<ref>Usher, E. L. (2009). Sources of middle school students’ self-efficacy in mathematics: A qualitative investigation. American Educational Research Journal, 46(1), 275-314. doi:10.3102/0002831208324517</ref> এই গবেষণার ফলাফল বান্দুরার ধারণার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ, যেখানে দক্ষতার অভিজ্ঞতা, পরোক্ষ অভিজ্ঞতা, সামাজিক প্রভাব ও মানসিক অবস্থা – সবই শিক্ষার্থীদের আত্মবিশ্বাস গঠনের সঙ্গে যুক্ত।
দক্ষতার অভিজ্ঞতা শিক্ষার্থীদের আত্মদক্ষতা বিকাশের সাথে দৃঢ়ভাবে সম্পর্কযুক্ত। উশের একটি কৌশল প্রস্তাব করেন যেটি গণিত শিক্ষকরা ব্যবহার করতে পারেন শিক্ষার্থীদের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে—“শিক্ষাদান এমনভাবে করা যাতে শিক্ষার্থীদের দক্ষতার অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ সর্বাধিক হয়, তা যত ছোটই হোক না কেন।”<ref>Usher, E. L. (2009). ...</ref> উদাহরণস্বরূপ, শিক্ষক অ্যালগরিদম বা বীজগণিত শেখানোর সময় সঠিকতা যাচাই করার কৌশল শেখাতে পারেন। যেমন প্রশ্ন: ১৮ ÷ ৬ =? শিক্ষক শিখাতে পারেন যে ভাগফলকে গুণ করে যদি ভাগফল × ভাজক = মূল সংখ্যা হয় (৩ × ৬ = ১৮), তবে উত্তর সঠিক। যারা এই কৌশল শিখেছে ও ব্যবহার করেছে, তারা গণিতে দক্ষতার অভিজ্ঞতা বাড়িয়েছে।<ref>Ramdass, D., & Zimmerman, B. J. (2008). ...</ref> শিক্ষার্থীদের সক্ষমতার মধ্যে থেকে চ্যালেঞ্জিং কাজ দেওয়া তাদের দক্ষতা বাড়াতে সাহায্য করে।
উশেরের গবেষণায় আরও দেখা গেছে, এই চারটি উৎসের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্কও রয়েছে। পরোক্ষ অভিজ্ঞতার ক্ষেত্রে দেখা গেছে, শিক্ষার্থীদের আত্মবিশ্বাসে অভিভাবক ও শিক্ষকের গণিত অভিজ্ঞতার প্রভাব আছে। একটি গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ হলো, এক শিক্ষার্থী তার অভিভাবকদের গণিতে ব্যর্থতাকে এভাবে ব্যাখ্যা করেছে—“আমি আলাদা হতে পারি।”<ref>Usher, E. L. (2009). ...</ref> এটি বোঝায় যে কেবল সফলতাই নয়, ব্যর্থতাও শিক্ষার্থীদের আত্মবিশ্বাসে প্রভাব ফেলতে পারে। এছাড়া, শিক্ষার্থীর মানসিক অবস্থা অন্যদের অভিজ্ঞতা কীভাবে তারা ব্যাখ্যা করে, তাতেও প্রভাব ফেলে। সামাজিক প্রভাবের ক্ষেত্রে দেখা গেছে, অভিভাবক ও শিক্ষকের বার্তা শিক্ষার্থীদের সক্ষমতা বিশ্বাসে বড় প্রভাব ফেলতে পারে। যেমন, যদি বাবা-মা বলেন গণিত একটি জন্মগত ক্ষমতা—“তোমার আছে বা নেই”—তাহলে সন্তানরা নিজেকে অক্ষম মনে করে আত্মবিশ্বাস হারাতে পারে। এই ক্ষেত্রে সামাজিক প্রভাব মানসিক অবস্থাতেও প্রভাব ফেলে।
==== শিক্ষকের আত্মদক্ষতা ====
শিক্ষকের শিক্ষাদানের আত্মদক্ষতা বলতে বোঝায় যে, তারা বিশ্বাস করেন তারা শিক্ষার্থীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনতে পারেন,<ref>Woolfolk, A. E., & Hoy, W. K. (1990). ...</ref> যেমন একাডেমিক পারফরম্যান্স, আত্মদক্ষতা, অনুপ্রেরণা, মনোভাব এবং আগ্রহ। উচ্চ আত্মদক্ষতা গঠনের জন্য শিক্ষকদের প্রয়োজন ইতিবাচক মনোভাব, বিষয়বস্তুর প্রতি গভীর জ্ঞান এবং শিক্ষণ কৌশলের জ্ঞান।
গণিত বিষয়ে শিক্ষকের মনোভাব শিক্ষার্থীদের মনোভাব ও পারফরম্যান্সে বড় প্রভাব ফেলে। একটি গবেষণায় চারটি গ্রুপ—প্রাথমিক শিক্ষক (K-4), মাধ্যমিক শিক্ষক, অন্যান্য প্রশাসনিক কর্মকর্তা, এবং বিশেষ শিক্ষা শিক্ষক—এর মধ্যে সাক্ষাৎকার ও একটি মনোভাব স্কেল পূরণের মাধ্যমে শিক্ষকদের মনোভাব বিশ্লেষণ করা হয়েছে।<ref>Kolstad, R. K., Hughes, S., & Briggs, L. D. (1994). ...</ref> এতে দেখা যায়, মাধ্যমিক শিক্ষকরা সবচেয়ে ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করেন (৬০% অত্যন্ত ইতিবাচক, ৩০% নিরপেক্ষ, ১০% অত্যন্ত নেতিবাচক), এবং প্রাথমিক শিক্ষকরা সবচেয়ে নেতিবাচক মনোভাব পোষণ করেন (৪৩% ইতিবাচক, ২৩% নিরপেক্ষ, ৩৪% নেতিবাচক)। ফলাফল নির্দেশ করে প্রাথমিক স্তরে গণিতকে তেমন গুরুত্ব দেওয়া হয় না।
নেতিবাচক মনোভাব থাকলে শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের শেখাতে সক্ষম—এই বিশ্বাসটিও হারিয়ে ফেলেন, যার সঙ্গে আত্মদক্ষতা জড়িত। শিক্ষকের শিক্ষাদান কৌশল ও বিষয়বস্তুর জ্ঞানও তাদের আত্মদক্ষতার ওপর প্রভাব ফেলে। একটি সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, গণিত বিষয়ক শিক্ষকের জ্ঞান ও আত্মদক্ষতার মধ্যে শক্তিশালী সম্পর্ক রয়েছে, যা দেখায়—যাদের বিষয়বস্তু ও কৌশলগত জ্ঞান বেশি, তারা শিক্ষাদানে বেশি আত্মবিশ্বাসী এবং শিক্ষার্থীদের শেখাতে পারার বিশ্বাস রাখেন।<ref>Fox, A. M. (2015). ...</ref>
শিক্ষকের আত্মদক্ষতা বিভিন্নভাবে শিক্ষার্থীদের শেখায় প্রভাব ফেলে। এর মধ্যে অন্যতম হলো শিক্ষার্থীর একাডেমিক সাফল্য। একটি গবেষণায় দেখা গেছে, K-12 স্তরের শিক্ষকদের আত্মদক্ষতা শিক্ষার্থীদের সাফল্যের সঙ্গে ইতিবাচকভাবে সম্পর্কযুক্ত।<ref>Chears-Young, J. B. (2015). ...</ref> এছাড়া, এটি শিক্ষার্থীদের অনুপ্রেরণা, আগ্রহ এবং শেখার কৌশলেও প্রভাব ফেলে। আত্মদক্ষ শিক্ষকরা প্রশংসা ব্যবহার করেন, সমালোচনার বদলে, এবং অধিক গ্রহণযোগ্য ও লক্ষ্যভিত্তিক হন।<ref>Kagan, D.M. (1992). ...</ref> অন্য একটি গবেষণায় দেখা গেছে, উচ্চ আত্মদক্ষতাসম্পন্ন শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের শেখার কৌশল শেখান এবং বেশি একাডেমিক সময় দেন, যা পারফরম্যান্স বাড়ায়।<ref>Ghaith, G., & Yaghi, H. (1997). ...</ref>
=== স্ব-নিয়ন্ত্রিত শেখা ===
অনেকে মনে করেন, শিক্ষার্থীদের গণিতে খারাপ ফলাফল তাদের অযোগ্যতা বা পড়াশোনার ঘাটতির কারণে হয়। কিন্তু সব ক্ষেত্রে তা সঠিক নয়। অনেক সময় খারাপ ফলাফল হয় কারণ শিক্ষার্থীরা উপযুক্ত কৌশল ব্যবহার করতে জানে না বা '''স্ব-নিয়ন্ত্রিত শেখা'''র অভাব রয়েছে।
স্ব-নিয়ন্ত্রিত শেখা হলো, শিক্ষার্থীরা তাদের শেখার সমস্ত দিক নিজেরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে—পরিকল্পনা থেকে শুরু করে পরবর্তী মূল্যায়ন পর্যন্ত।<ref>Zimmerman, B. (2000). ...</ref> এই শেখার তিনটি মূল উপাদান আছে।
প্রথমটি হলো, মেটাকগনিটিভ সচেতনতা—মানে কীভাবে শিক্ষার্থীরা লক্ষ্য স্থির করে এবং তা অর্জনের পরিকল্পনা তৈরি করে।<ref>Zimmerman, B. (2000). ...</ref>
দ্বিতীয়টি হলো, কৌশল ব্যবহার—অর্থাৎ শিক্ষার্থীরা কী কী স্ব-নিয়ন্ত্রিত কৌশল প্রয়োগ করতে পারে। দক্ষ শিক্ষার্থীরা বেশি কার্যকর কৌশল ব্যবহার করে।<ref>Zimmerman, B. J., & Martinez-Pons, M. (1990). ...</ref>
তৃতীয়টি হলো, অনুপ্রেরণা নিয়ন্ত্রণ—যেখানে শিক্ষার্থীরা লক্ষ্য স্থির করে এবং তাদের দক্ষতা ও পারফরম্যান্সে ইতিবাচক বিশ্বাস রাখে।<ref>Zimmerman, B. (2000). ...</ref>
স্ব-নিয়ন্ত্রিত শেখার দক্ষতা শিক্ষার্থীর গণিত সাফল্যে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলে। এই দক্ষতা বাড়লে, তারা ভালো কৌশল ব্যবহার করে এবং কীভাবে গণিত পড়তে হয় তা ভালোভাবে বোঝে, ফলে তাদের গণিতের ফলাফল উন্নত হয়।
==== গণিত স্ব-নিয়ন্ত্রিত শিক্ষণ প্রোগ্রাম অধ্যয়ন ====
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একটি গবেষণায় একটি গণিত স্ব-নিয়ন্ত্রণ শেখার প্রোগ্রাম প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল এবং ফলাফলটি দেখিয়েছিল যে যখন শিক্ষার্থীদের স্ব-নিয়ন্ত্রিত শেখার দক্ষতা দিয়ে শেখানো হয়, তখন তাদের গাণিতিক কৃতিত্ব বৃদ্ধি পায়। প্রাথমিক স্তরে ৬০ জন নিম্ন গাণিতিক অর্জনকারী শিক্ষার্থীর সাথে এই গবেষণার কথা জড়িত। ৩০ জন শিক্ষার্থীকে পরীক্ষামূলক দলে রাখা হচ্ছে, যা তাদের গণিত স্ব-নিয়ন্ত্রিত শেখার প্রোগ্রামে অংশ নিতে হবে।
এই প্রোগ্রামটিতে ৩০ টি সেশন রয়েছে, যা তাদের অনুপ্রেরণামূলক নিয়ন্ত্রণ বৃদ্ধি করে এবং তাদের স্ব-নিয়ন্ত্রণের কৌশলগুলো শেখানোর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের স্ব-নিয়ন্ত্রিত শেখার দক্ষতা বাড়ানোর উদ্দেশ্যে কাজ করে। (অধিবেশন ১-৫) শিক্ষার্থীদের স্ব-নিয়ন্ত্রণমূলক বিশ্বাস সিস্টেম বিকাশের মাধ্যমে প্রোগ্রামটি শুরু হয়েছিল। তারা শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত দায়বদ্ধতা, স্ব-কার্যকারিতা, শেখার লক্ষ্য এবং শিক্ষার্থীদের গল্প বলার সাথে বক্তৃতা দিয়ে এবং তাদের ধারণাগুলো একটি গ্রুপে ভাগ করে নেওয়ার মাধ্যমে প্রচেষ্টার মূল্যের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়। (অধিবেশন ৬-১১) তারপরে, তারা শিক্ষার্থীদের জিমারম্যান দ্বারা প্রস্তাবিত ১৪ টি স্ব-নিয়ন্ত্রিত শেখার কৌশলগুলো পরিচয় করিয়ে দেয়। প্রতিটি কৌশল তার ব্যবহার এবং গণিত শেখার গুরুত্বপূর্ণ উপর জোর দিয়ে ব্যাখ্যা করা হয়েছিল। এরপরে, শিক্ষার্থীদের তাদের নিজস্ব প্রতিটি কৌশল অনুশীলন করার সুযোগ দেওয়া হয়। (অধিবেশন ১২-৩০) পরিশেষে, শিক্ষার্থীদের তাদের নিয়মিত গাণিতিক পাঠে স্ব-নিয়ন্ত্রিত শেখার কৌশল প্রয়োগ করার জন্য গাইড করা হয়। এছাড়াও, তাদের লক্ষ্য নির্ধারণ, স্ব-মূল্যায়ন এবং স্ব-অনুবর্তী ফর্মগুলো পূরণ করে তাদের নিজস্ব অগ্রগতি মূল্যায়ন করতে হবে। শিক্ষার্থীরা গণিত স্ব-নিয়ন্ত্রিত শেখার প্রোগ্রামে ৩০ টি সেশন শেষ করার পরে, তারা একটি গাণিতিক কৃতিত্ব পরীক্ষা এবং একটি স্ব-নিয়ন্ত্রিত শেখার পরীক্ষা নেবে। ফলাফলে দেখা গেছে যে প্রোগ্রামে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা যারা প্রোগ্রামে অংশ নেননি তাদের তুলনায় উভয় পরীক্ষায় বেশি স্কোর করেছেন।
গাণিতিক ক্ষেত্রে স্ব-নিয়ন্ত্রিত শেখার কৌশল প্রয়োগ করা
{| class="wikitable"
!কৌশল
!গাণিতিক ক্ষেত্রে প্রয়োগ
|-
|আত্ম-মূল্যায়ন
|শিক্ষার্থীরা যথাযথ পদক্ষেপের সাথে প্রশ্নগুলোর সঠিক উত্তর রয়েছে তা নিশ্চিত করে এটি করে।
|-
|সংগঠন এবং রূপান্তর
|শিক্ষার্থীদের গণিত প্রশ্ন সংগঠিত করার ক্ষমতা। কিছু উপায় গ্রাফ, সমীকরণ এবং ডায়াগ্রাম ব্যবহার করছে।
|-
|লক্ষ্য নির্ধারণ ও পরিকল্পনা
|শিক্ষার্থীরা লক্ষ্য নির্ধারণ করে এবং সেই লক্ষ্যগুলো অর্জনের জন্য তাদের পরিকল্পনা করে।
|-
|রেকর্ড রাখা এবং পর্যবেক্ষণ করা
|ক্লাসে নোট নেওয়া। সমীকরণগুলো সংগঠিত করা।
|-
|পরিবেশ কাঠামো
|এমন পরিবেশে পড়াশোনা যা তাদের পড়াশোনার উপকার করে।
|-
|স্ব-পরিণতি
|গণিতশাস্ত্রে সাফল্য বা ব্যর্থতার উপর শিক্ষার্থীর নিজস্ব শাস্তি বা পুরষ্কার।
|-
|মহড়া ও মুখস্থ করা
|শিক্ষার্থী গণিতের বিভিন্ন ধরণের প্রশ্ন করে শিখেছে।
|-
|তথ্য চাওয়া
|শিক্ষার্থীরা অসামাজিক উৎস থেকে তথ্য চায়।
|-
|সামাজিক সহায়তা চাওয়া
|শিক্ষার্থীরা তাদের সহকর্মী, শিক্ষক বা অন্যান্য প্রাপ্তবয়স্কদের কাছ থেকে সহায়তা চায়।
|-
|রেকর্ড পর্যালোচনা
|শিক্ষার্থীরা পাঠ্যপুস্তক, নোট বা তাদের বাড়ির কাজের প্রশ্নগুলো পুনরায় পড়ে।
|}
গণিত স্ব-নিয়ন্ত্রিত শেখার প্রোগ্রামের ৩০ টি সেশনে অংশ নেওয়ার পরে, শিক্ষার্থীরা তাদের গাণিতিক কৃতিত্ব এবং স্ব-নিয়ন্ত্রিত শেখার পরীক্ষায় উল্লেখযোগ্য উন্নতি দেখিয়েছে। এটি দেখায় যে স্ব-নিয়ন্ত্রিত শেখার দক্ষতা সহ নিম্ন-অর্জনকারী গণিত শিক্ষার্থীদের শেখানো সম্ভব। যখন তারা এই দক্ষতাগুলোর সাথে সজ্জিত হয়েছিল এবং প্রক্রিয়া এবং কৌশলগুলোতে ফোকাস করতে শেখানো হয়েছিল, তখন তাদের গণিত সমাধানের দক্ষতা উন্নত হয়েছিল। উন্নতির সাথে, শিক্ষার্থীরা ধীরে ধীরে গণিতে আরও ভাল করার দক্ষতার স্বীকৃতি দেবে। তাদের উন্নতির জন্য নিজেদের প্রশংসা এবং পুরস্কৃত করা শিক্ষার্থীদের গণিতে আরও বেশি উন্নতি প্রদান করবে। ফলে তাদের আত্মকার্যকারিতা ও গণিতের প্রতি আগ্রহ বাড়বে। এটি একটি ইতিবাচক চক্র তৈরি করে: যখন শিক্ষার্থীরা বিশ্বাস করে যে তাদের গণিত অর্জনের ক্ষমতা রয়েছে, তখন তারা উপযুক্ত স্ব-নিয়ন্ত্রিত শেখার দক্ষতার সাথে গণিতে আরও কঠোর পরিশ্রম করবে।
ঐতিহ্যবাহী শ্রেণিকক্ষে, গণিতকে প্রক্রিয়া-কেন্দ্রিক বিষয়ের পরিবর্তে উত্তর-কেন্দ্রিক বিষয় হিসাবে দেখা হয়। গতি এবং নির্ভুলতার উপর জোর দিয়ে, শিক্ষার্থীরা গণিত বোঝার পরিবর্তে গাণিতিক তথ্য অনুলিপি এবং মুখস্থ করার দক্ষতা বিকাশ করবে। এছাড়াও, শিক্ষক থেকে শিক্ষার্থী পর্যন্ত শিক্ষা কেবল একভাবে প্রবাহিত হয়। এই ধরনের শ্রেণীকক্ষের সেটিংয়ে শিক্ষার্থীদের পক্ষে স্ব-নিয়ন্ত্রিত শিক্ষার কৌশলগুলো প্রয়োগ করা কঠিন হবে কারণ যখন শিক্ষার্থীদের তাদের অধ্যয়নের উপর পছন্দ এবং নিয়ন্ত্রণ রাখার অনুমতি দেওয়া হয় না, তখন তারা স্ব-নিয়ন্ত্রণের কৌশলগুলো শিখতে পারে না, বা স্বেচ্ছায় স্ব-দীক্ষা এবং নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না বিভিন্ন কৌশল ব্যবহার। অতএব, শিক্ষার্থীদের স্ব-নিয়ন্ত্রণের দক্ষতা প্রয়োগ করার জন্য, শ্রেণিকক্ষের পরিবেশ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। স্ব-নিয়ন্ত্রিত শেখার দক্ষতা বিকাশের সর্বোত্তম উপায়গুলোর মধ্যে একটি হলো শিক্ষার্থীদের নিজস্ব শেখার জন্য একটি নির্দিষ্ট ডিগ্রি নিয়ন্ত্রণ দেওয়া। গণিত শিক্ষকদের জ্ঞান ভাগ করে নেওয়া এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রচার করা উচিত। যখন শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য নির্ধারণ, কার্যক্রম পরিকল্পনা এবং তাদের নিজস্ব কর্মক্ষমতা মূল্যায়নে একটি কণ্ঠস্বর থাকে, তখন তাদের স্ব-নিয়ন্ত্রিত শেখার দক্ষতা অনুশীলন করার সুযোগ থাকে, যা তাদের গণিত কৃতিত্বের উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
উচ্চ-গ্রেডের শিক্ষার্থীরা নিম্ন গ্রেডের শিক্ষার্থীদের চেয়ে স্ব-নিয়ন্ত্রিত শেখার দক্ষতা আরও ভালভাবে প্রয়োগ করতে পারে। এটি কারণ বয়স্ক শিক্ষার্থীরা স্ব-নিয়ন্ত্রিত শেখার তত্ত্বে উপস্থাপিত ধারণা এবং ধারণাগুলো বুঝতে আরও সক্ষম। এছাড়াও, কিছু স্ব-নিয়ন্ত্রিত শেখার কৌশলগুলোর জন্য পূর্বের জ্ঞান এবং দক্ষতা প্রয়োজন, যেমন একটি পরিকল্পনা লেখা বা শেখার উপকরণগুলো সংগঠিত করা। অতএব, উচ্চ-গ্রেডের শিক্ষার্থীদের পক্ষে স্ব-নিয়ন্ত্রিত কিছু কৌশল শিখতে সহজ। ফলস্বরূপ, উচ্চ-গ্রেডের শিক্ষার্থীরা যখন স্ব-নিয়ন্ত্রিত শেখার দক্ষতা শেখানো হয় তখন নিম্ন গ্রেডের শিক্ষার্থীদের তুলনায় গাণিতিক কৃতিত্বে আরও উন্নতি দেখায়।
== শিক্ষার উপর প্রভাব ==
=== গণিত-শেখার অক্ষমতা ===
জ্ঞান, কার্যকর স্মৃতি এবং গণিত শেখার অক্ষমতা সম্পর্কে সাম্প্রতিক গবেষণাগুলো গণিতে গণনা এবং সমস্যা সমাধানের শেখার অক্ষমতাগুলোর মধ্যে পার্থক্য করার প্রয়োজনীয়তার দিকে ইঙ্গিত করে। এই মুহুর্তে, গণিতের মূল্যায়নগুলো জেনেরিক হয়েছে এবং প্রতিটি ডোমেনের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যগুলোতে যথাযথ বিবেচনা দেওয়া হয়নি। শিক্ষার্থীদের নির্ণয়ের সময় পেশাদারদের অবশ্যই এই দুটি দক্ষতা আলাদাভাবে বিবেচনা করতে হবে। গাণিতিক শেখার প্রতিবন্ধী শিশুদের নির্দেশ দেওয়ার সময় শিক্ষকদেরও বিভিন্ন ডোমেনগুলো বিবেচনা করা উচিত। কিছু পরামর্শ এবং সরঞ্জাম যা শিক্ষার্থীদের তাদের গাণিতিক শেখার ক্ষেত্রে সহায়তা করতে পারে:
=== বহিঃপ্রতিনিধিত্ব ===
বাহ্যিক উপস্থাপনা গণিতে একটি সহায়ক সরঞ্জাম কারণ গাণিতিক সমস্যাগুলো মাঝে মাঝে মানসিকভাবে সমাধান করা জটিল হতে পারে। বাহ্যিক উপস্থাপনা ব্যবহার করে, এটি গণিতের ধারণার উপর একটি স্পষ্ট ধারণা প্রদান করে যার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা জ্ঞান অর্জন বিকাশ করতে পারে। কিছু বাহ্যিক উপস্থাপনা হলো ওয়ার্ক-আউট উদাহরণ, অ্যানিমেশন এবং ডায়াগ্রাম।
==== কাজের উদাহরণ ====
ওয়ার্ক-আউট উদাহরণগুলো একটি দরকারী শিক্ষামূলক পদ্ধতি যা শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের গণিত শেখার সুবিধার্থে ব্যবহার করেন। গবেষণা দেখায় যে ওয়ার্ক-আউট উদাহরণগুলো ব্যবহার করে এমন শিক্ষার্থীদের বাড়িয়ে তুলতে পারে যাদের গণিতের কর্মক্ষমতা স্তর কম। একটি কারণ হলো যখন শিক্ষার্থীদের সমাধান করার জন্য কোনও সমস্যা দেওয়া হয়, তখন তাদের সর্বোত্তম লক্ষ্য গণিত শেখার পরিবর্তে সমস্যাটি সমাধান করা। বিপরীতে, যখন শিক্ষার্থীদের কাজের উদাহরণ দেওয়া হয়, তখন তারা আসলে শিখে এবং তাদের নিজেরাই উপকরণগুলো ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করে। সুতরাং, কাজ করা উদাহরণগুলো শিক্ষার্থীদের জন্য ইচ্ছাকৃত শিক্ষার উপর আরও বেশি ফোকাস করে। শিক্ষার্থীরা সাধারণত গাণিতিক তত্ত্ব বা প্রমাণ বুঝতে পারে না কারণ তারা বুঝতে জটিল। যাইহোক, পরিশ্রমী উদাহরণগুলো শিক্ষার্থীদের শেখার অর্জন এবং গণিতের ধারণাটি বোঝার জন্য সহজ। সুস্পষ্ট নির্দেশনা না দিয়ে, শিক্ষকরা কেবল শিক্ষার্থীদের উল্লেখ করার জন্য উদাহরণ হিসাবে গাণিতিক সমস্যাটি কীভাবে সমাধান করবেন তার পদক্ষেপগুলো দেখায়। গাণিতিক সমস্যা সমাধানের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপগুলোর বিস্তারিত ব্যাখ্যা রয়েছে। তারপরে, শিক্ষার্থীদের নিজেরাই একই ধরণের গাণিতিক সমস্যাটি স্ব-ব্যাখ্যা করার স্বায়ত্তশাসন রয়েছে। সুতরাং, তারা অনেক গাণিতিক সমস্যা সমাধানের জন্য রেফারেন্স হিসাবে কাজ করা উদাহরণগুলো ব্যবহার করতে পারে। শিক্ষকরা যে পরিশ্রমী উদাহরণ দিয়েছেন তা উল্লেখ করে তারা কীভাবে সমস্যার সমাধান করা যায় সে সম্পর্কে তাদের চিন্তাভাবনাকে স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত করতে পারে। অতএব, এটি শিক্ষার্থীদের স্ব-নিয়ন্ত্রিত শিক্ষার ক্ষেত্রেও বাড়িয়ে তুলতে পারে কারণ তারা সমস্যা সমাধানে তাদের সমালোচনামূলক চিন্তাভাবনা অনুশীলন করছে। এই '''মেটাকগনিটিভ''' কৌশলটি শিক্ষার্থীদের বিশেষত গাণিতিক শব্দ সমস্যাগুলোতে তাদের সমস্যা সমাধানের দক্ষতা উন্নত করতে সহায়তা করতে পারে। মেটাকগনিটিভ কৌশলগুলোর মধ্যে স্ব-জিজ্ঞাসা, স্ব-মূল্যায়ন, সংক্ষিপ্তকরণ এবং সমস্যাটি চিত্রিত করা অন্তর্ভুক্ত। এই কৌশলগুলো শিক্ষার্থীদের জন্য জ্ঞান অর্জন করার সময় কাজ করা উদাহরণগুলো থেকে আরও গভীর বোঝার জন্য তৈরি করে বলে বিশ্বাস করা হয়। গবেষণায় দেখা গেছে যে শিক্ষার্থীরা সমস্যাটি স্ব-ব্যাখ্যা করতে এবং তাদের সমাধান করতে পারে তাদের উচ্চতর গণিতের কৃতিত্ব রয়েছে। যখন শিক্ষার্থীরা নিজেরাই গাণিতিক সমস্যাটি কীভাবে সমাধান করা যায় তার পদক্ষেপগুলো ব্যাখ্যা করে, তখন তারা তাদের প্রতিফলিত চিন্তাভাবনা অনুশীলন করে যা তথ্য দেওয়া হয়েছিল তার বাইরেও বৃহত্তর বোঝার তৈরি করতে পারে। প্রকৃতপক্ষে, শিক্ষার্থীরা গণিতের নতুন এবং পরিশীলিত জ্ঞান বিকাশ করতে পারে কারণ তারা তাদের পূর্ব জ্ঞানের সাথে নতুন শেখা উপকরণগুলোকে একত্রিত করে। উপরন্তু, ওয়ার্ক-আউট উদাহরণগুলো গ্রুপ সেটিংসেও ব্যবহার করা যেতে পারে যেখানে শিক্ষার্থীরা গাণিতিক সমস্যা সমাধানে তাদের সহপাঠীদের সাথে আলোচনা করতে পারে। গবেষণায় দুটি উপায় পাওয়া গেছে যাতে শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষে ওয়ার্ক-আউট উদাহরণ ব্যবহার করতে পারে। একটা উপায় হলো, যারা কাজের উদাহরণ বোঝে তারা যারা বোঝে না তাদের বোঝাতে পারবে। অন্য উপায়টি হলো শিক্ষার্থীরা তাদের যুক্তি এবং যুক্তি দক্ষতা ব্যবহার করে সম্পূর্ণরূপে কার্যকরী উদাহরণগুলো ব্যাখ্যা করে। উভয় উপায়ে শিক্ষার্থীদের কাজের উদাহরণগুলোর বিশদ আলোচনা করে একটি সামাজিক ইন্টারেক্টিভ সেটিংয়ে শেখার সাথে জড়িত। একটি সামাজিক সেটিংয়ে শেখা উপকরণগুলোর বোঝাপড়াকে শক্তিশালী করতে পারে কারণ শিক্ষার্থীরা উদাহরণগুলো আরও গভীরভাবে প্রসারিত করছে। একটি স্পষ্ট বোঝার জন্য তারা কাজ করা উদাহরণগুলোর সাথে তাদের যে কোনও প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করতে পারে। অতএব, এটি গুরুত্বপূর্ণ যে শিক্ষার্থীদের সমস্যা পদ্ধতির প্রতিফলন করতে এবং তাদের বিদ্যমান জ্ঞানের বাইরে জ্ঞান অর্জনের জন্য ছোট দলে কাজ করা উদাহরণগুলোতে আরও আলোচনা করা উচিত।
==== অ্যানিমেশন ====
গণিত শেখার প্রতি শিক্ষার্থীদের আগ্রহ বাড়ানোর জন্য, অ্যানিমেশন শিক্ষার্থীদের শেখানোর জন্য ব্যবহার করার জন্য একটি দুর্দান্ত শিক্ষামূলক সরঞ্জাম। যেহেতু গণিত মাঝে মাঝে বেশ বিরক্তিকর এবং অনাকর্ষণীয় হতে পারে, তাই অ্যানিমেশনগুলো শিক্ষার্থীদের গণিত শেখার আগ্রহ আকর্ষণ করতে পারে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, অ্যানিমেশনগুলো গণিতে শিক্ষার্থীদের সমস্যা সমাধানের দক্ষতার সুবিধার্থে দাবি করে। শিক্ষার্থীরা যে কোনও গাণিতিক সমস্যা সমাধান করার আগে, শিক্ষার্থীদের সমস্যাটি সনাক্ত করা এবং কী সমাধান করতে হবে তা জানা গুরুত্বপূর্ণ। অতঃপর, যখন শিক্ষার্থীরা সমস্যাটি অনুবাদ করা কঠিন বলে মনে করে, তখন অ্যানিমেশন সবচেয়ে কার্যকর হয়ে ওঠে কারণ এতে ভিজ্যুয়াল উপস্থাপনা থাকে যা শিক্ষার্থীদের পক্ষে প্রশ্নটি ব্যাখ্যা করা সহজ করে তোলে। বিপরীতে, যখন শিক্ষার্থীরা কেবল সমস্যাটির উপর নোট নেয়, তখন সমস্যাটির অর্থ কী তা তাদের স্পষ্ট ধারণা থাকে না কারণ তারা কেবল পাঠ্যটি অনুলিপি করছে। সমস্যার মৌখিক ব্যাখ্যা সহ একটি সচিত্র উপস্থাপনা থাকার মাধ্যমে, শিক্ষার্থীরা সমস্যাটিতে কী ঘটছে তা পুরোপুরি কল্পনা করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, যোগ এবং বিয়োগের ধারণাটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর কাছে পাঠ্যের মাধ্যমে ব্যাখ্যা করা শক্ত। যাইহোক, সমস্যাটিতে কী ঘটেছিল তার আগে এবং পরে ফ্রেম প্রদর্শন করার জন্য অ্যানিমেশনগুলো ব্যবহার করার সময় একটি স্পষ্ট বোঝাপড়া তৈরি করতে পারে। যোগ বা বিয়োগ গাণিতিক সমস্যার ক্ষেত্রে, অ্যানিমেশনগুলো সমাধানটি উপস্থাপন করতে বস্তুর বৃদ্ধি বা হ্রাস প্রদর্শন করতে পারে। এছাড়াও, অ্যানিমেশনগুলো দৃশ্যমান বস্তু, কংক্রিট ফলাফল এবং নির্দিষ্ট দৃষ্টান্ত দেখিয়ে বিমূর্ত গণিত তত্ত্বগুলো চিত্রিত করতে পারে। সুতরাং, অ্যানিমেশনগুলো স্বতন্ত্র উদাহরণগুলোর রেফারেন্স সহ গণিতের বিমূর্ত ধারণাগুলো জানাতে ব্যবহার করা যেতে পারে। অ্যানিমেশনগুলো সমস্যাগুলোর ভিজ্যুয়াল উপস্থাপনার কারণে বিমূর্ত নীতিগুলো অর্জন এবং কার্যকর-আউট উদাহরণগুলোর বোধগম্যতা সহজতর করতে পারে। যদিও কাজ করা উদাহরণগুলো কার্যকর নির্দেশমূলক অনুশীলন হিসাবে পরিচিত, অ্যানিমেশনগুলো এই উদাহরণগুলোকে কার্যকরভাবে উন্নত করতে ব্যবহার করা যেতে পারে। কাজ করা উদাহরণগুলোতে সর্বদা সচিত্র উপস্থাপনা নাও থাকতে পারে তবে কেবল লিখিত পাঠ্য থাকতে পারে। অতএব, যখন কাজ করা উদাহরণগুলোর সমাধান পদ্ধতির প্রতিটি পদক্ষেপের একটি চাক্ষুষ উপস্থাপনা থাকে, তখন শিক্ষার্থীরা সমস্যাটিতে কী চলছে তা কল্পনা করতে পারে। শিক্ষার্থীরা ব্যাখ্যা এবং প্রদত্ত ছবিগুলোর সাথে কাজ করা উদাহরণগুলো আরও ভালভাবে ব্যাখ্যা করতে পারে। ফলস্বরূপ, এটি সুপারিশ করা হয় যে গণিতে শিক্ষার্থীদের শেখার সম্পূর্ণরূপে একীভূত করার জন্য শিক্ষকদের তাদের অনুশীলনে একটি শিক্ষামূলক সরঞ্জাম হিসাবে অ্যানিমেশন ব্যবহার করা উচিত।
==== রেখাচিত্র ====
একটি তথ্যমূলক চিত্র তৈরি করা একটি খুব কঠিন পদ্ধতি হতে পারে, কারণ শিক্ষার্থীদের কেবল মৌখিক তথ্যকে ভিজ্যুয়াল তথ্যে ব্যাখ্যা করার প্রয়োজন হয় না, তবে তাদের পূর্বের জ্ঞানের সাথে যুক্ত হওয়ার আগে সম্পর্কিত তথ্যগুলো একসাথে সনাক্ত এবং সংহত করার প্রয়োজন হয়। লারকিন এবং সাইমন বিশ্বাস করতেন যে অনুসন্ধান, মিল এবং অনুমানের ক্ষেত্রে তিনটি দিকের কারণে ডায়াগ্রাম্যাটিক উপস্থাপনা সংবেদনশীল উপস্থাপনার চেয়ে সহজ এবং আরও দক্ষ। প্রথমত, এটি শব্দ সমস্যার উপাদানগুলোর মধ্যে টপোগ্রাফিক এবং জ্যামিতিক সম্পর্ক সম্পর্কে সমস্ত তথ্য স্পষ্টভাবে ধরে রাখে। অতএব, শিক্ষার্থীরা সহজেই নির্দিষ্ট তথ্য অনুসন্ধান করতে পারে। দ্বিতীয়ত, যেহেতু সমস্ত সম্পর্কিত উপাদানগুলো একসাথে গোষ্ঠীভুক্ত করা হয়েছে, এটি কংক্রিট উপস্থাপনা এবং চিত্রোপকরণের মধ্যে সংযোগ দেখায়। সুতরাং, এটি সম্পর্কিত তথ্য সনাক্তকরণের প্রক্রিয়াটি সহজ করতে পারে। এর পাশাপাশি, একটি চিত্র অঙ্কন করে সমস্যাটি উত্পাদিত হলে মেমরি লোড কম হয়, কারণ শিক্ষার্থীরা সম্পর্কিত তথ্যগুলোর মধ্যে প্রয়োজনীয় অনুমানটি স্পষ্টভাবে দেখতে পারে। অনেক গবেষণায় পরামর্শ দেওয়া হয়েছে যে ডায়াগ্রামের ব্যবহার সমস্যা সমাধানের দক্ষতা উন্নত করতে পারে।
বন্দ্যোপাধ্যায় গণিত শব্দের সমস্যা সমাধানে উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কৃতিত্বের উপর একটি প্রতিনিধিত্বমূলক কৌশল হিসাবে ডায়াগ্রামিং ব্যবহারের প্রভাব সম্পর্কে একটি গবেষণা পরিচালনা করেছেন। ফলাফলটি প্রমাণ করেছে যে ডায়াগ্রামিং পদ্ধতি (যেমন গণিতের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য ডায়াগ্রামগুলোর তৈরি এবং লেবেলগুলোতে মনোনিবেশ করা) গণিতের শব্দ সমস্যা সমাধানে তাদের অর্জনকে উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত করতে পারে।
গণিত শব্দের সমস্যা সমাধানে ডায়াগ্রাম ব্যবহার নিয়ে একটি গবেষণায়, উয়েসাকা, মানালো এবং ইচিকাওয়া জাপান এবং নিউজিল্যান্ডের শিক্ষার্থীদের তুলনা করেছিলেন। একজন জাপানি ছাত্র যে চিত্রটি এঁকেছিলেন সেটি ছিল একটি এক-বস্তু সমস্যা ব্যবহার করা, এবং নিউজিল্যান্ডের একজন ছাত্র দ্বারা উত্পাদিত একটি দ্বিমাত্রিক বস্তু ব্যবহার করে গণিত শব্দের সমস্যাগুলো সমাধান করা। ফলাফলগুলো ইঙ্গিত দেয় যে নিউজিল্যান্ডের শিক্ষার্থীদের দ্বারা সঠিক উত্তরের শতাংশ জাপানি শিক্ষার্থীদের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি ছিল। কারণটি হলো একটি ডায়াগ্রাম্যাটিক উপস্থাপনা তৈরি করা অবস্থান অনুসারে বাক্যগুলো সূচিবদ্ধ করতে পারে, যাতে শিক্ষার্থীরা একটি নির্দিষ্ট স্থানে বিশদটি স্পষ্টভাবে পর্যবেক্ষণ করতে পারে, যা সমস্যাটি বুঝতে তাদের সহজ করে।
গণিতের সমস্যা সমাধানের জন্য রেখাচিত্র ব্যবহার করার বিষয়ে শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করার জন্য, শিক্ষকদের প্রথমে তাদের শেখাতে হবে ১) রেখাচিত্র কী, ২) সমস্যা সমাধানের জন্য রেখাচিত্র ব্যবহারের গুরুত্ব, ৩) সমস্যা সমাধানে কখন রেখাচিত্র প্রয়োগ করতে হবে, ৪) গণিতের সমস্যার জন্য কোন ধরনের রেখাচিত্র ব্যবহার করা উচিত, ৫) কিভাবে ডায়াগ্রাম তৈরি করতে হয়, এবং ৬) কিভাবে একটি ডায়াগ্রাম কার্যকরভাবে ব্যবহার করতে হয়। শিক্ষার্থীদের ডায়াগ্রামের মৌলিক ধারণাগুলো জানার কারণ হলো ডায়াগ্রামগুলো সমস্ত গণিতের সমস্যাগুলোতে প্রযোজ্য নাও হতে পারে। উয়েসাকা এবং মানালো উল্লেখ করেছেন যে শিক্ষার্থীরা স্থানিক সমস্যার পরিবর্তে দৈর্ঘ্য এবং দূরত্বের ক্ষেত্রে গণিতের শব্দের সমস্যাগুলো সমাধান করার সময় ডায়াগ্রাম ব্যবহার করে, কারণ এটি সাধারণত একটি কংক্রিট সম্পর্ক এবং পরিচিত পরিমাণের সাথে জড়িত। তাদের ডায়াগ্রামের গুরুত্বপূর্ণ ধারণাগুলো শেখানোর পরে, শিক্ষকরা তাদের ৩ ধাপের পদ্ধতি নির্দেশ দিতে পারেন - জিজ্ঞাসা করুন, করুন এবং চেক করুন। ভ্যান গার্ডেরেন এবং শুয়েরম্যান পরামর্শ দিয়েছিলেন যে শিক্ষার্থীদের প্রথমে কী সমাধান করা দরকার সেদিকে মনোনিবেশ করা উচিত; তারপরে তাদের একটি চিত্র তৈরি করা উচিত। অবশেষে, তারা ডায়াগ্রামগুলো ব্যবহার করে সমস্যার সমাধান করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, কী সমাধান করা দরকার তার উপর ফোকাস করার জন্য, শিক্ষার্থীরা তথ্য অনুসন্ধানের জন্য কী ওয়ার্ড পদ্ধতিটি ব্যবহার করতে পারে এবং সমস্যা থেকে দেওয়া তথ্য স্থাপন করতে পারে। উপসংহারে, গণিতের সমস্যাগুলো সমাধান করার সময় ডায়াগ্রামগুলো কার্যকর কৌশল হতে পারে; এটি কেবল শিক্ষার্থীদের সমালোচনামূলকভাবে চিন্তা করতে সহায়তা করে না, তবে একটি ভিন্ন পদ্ধতির ব্যবহার করে সমস্যা সমাধানে তাদের সহায়তা করে।
=== অ্যালগরিদম ===
একটি অ্যালগরিদম শিক্ষার্থীদের গণিত সমস্যা সমাধানে সহায়তা করার জন্য পদক্ষেপগুলোর একটি সিরিজ। যদি তারা এই পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করে তবে তারা সর্বদা প্রতিবার একটি সঠিক উত্তর গণনা করতে সক্ষম হবে। অ্যালগরিদম পুনরাবৃত্তি ক্রমগুলোর সাথে জড়িত, এটি যোগ, বিয়োগ, গুণ এবং বিভাগের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। অ্যালগরিদম ব্যবহার করে, শিক্ষার্থীরা প্রতিটি পদক্ষেপে কী ঘটছে তা কীভাবে ব্যাখ্যা করতে পারে তা শিখতে পারে এবং যদি তারা শেষ পর্যন্ত একটি ভুল উত্তর দেয় তবে তাদের ভুলগুলো ট্র্যাক করতে সক্ষম হয়। সমস্যা সমাধানের সময় তাদের বিশদে মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন, অর্থাৎ, যখন তারা একাধিক ধাপের সমাধানের মাধ্যমে কাজ করছে, তখন তাদের দীর্ঘমেয়াদী মেমরি থেকে অ্যালগরিদমগুলো স্মরণ করতে হবে এবং ইতিমধ্যে তাদের মনে পদক্ষেপগুলোর একটি সেট থাকতে হবে। এছাড়াও, শিক্ষকদের শিক্ষার্থীদের নির্দেশ দেওয়া উচিত যে অ্যালগরিদমগুলো অবশ্যই ক্রমানুসারে সমাধান করতে হবে, কোনও পদক্ষেপই ঝাঁপিয়ে পড়া যাবে না। উদাহরণস্বরূপ, যখন শিক্ষার্থীরা মৌলিক গাণিতিক অপারেশনগুলো শিখছে, তখন তাদের শিখতে হবে যে ৫ + ৮×৬ এর মতো সমস্যা সমাধানের জন্য একটি নির্দিষ্ট ক্রম রয়েছে। শিক্ষার্থীদের বুঝতে হবে যে তাদের প্রথমে গুণ করতে হবে, তারপরে সংযোজন অংশ। যদি তারা সঠিক ক্রম অনুসরণ করতে পারে তবে তারা সর্বদা একটি সঠিক উত্তর দিতে পারে। যাইহোক, পল কব গ্রেড ১ এবং ২ শিক্ষার্থীদের দ্বিগুণ অঙ্কের সংযোজন সমস্যা সমাধানের বিষয়ে একটি গবেষণা পরিচালনা করেছেন। তিনি লক্ষ্য করেন যে, সকল শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করে ১৬+৯ এর জন্য সঠিক উত্তর দিতে সক্ষম হয়েছে। বিপরীতভাবে, যদি তাদের একই সমস্যা সমাধানের জন্য বহন করার সাথে ঐতিহ্যবাহী স্কুল অ্যালগরিদম ব্যবহার করতে বলা হয় তবে একটি উল্লম্ব প্রেক্ষাপটের সাথে, তাদের মধ্যে অনেকগুলো একটি ভুল উত্তর দেয়। তিনি উপসংহারে পৌঁছেছিলেন যে শিক্ষার্থীদের একটি ঐতিহ্যবাহী স্কুল অ্যালগরিদমের সাথে ত্রুটি করার উচ্চতর সম্ভাবনা থাকার কারণ হলো তারা অ্যালগরিদমগুলো কীভাবে কাজ করে তা সম্পূর্ণরূপে বোঝার পরিবর্তে কেবল নিয়মগুলো অনুসরণ করতে বাধ্য করছিল। ব্রাউন এবং বার্টন আবিষ্কার করেছেন যে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে শিক্ষার্থী তাদের গণিতের সমস্যাগুলো সমাধান করার জন্য ধারাবাহিকভাবে অ্যালগরিদমের এক বা একাধিক ভুল সংস্করণ ব্যবহার করছে। যদিও অনেক ভুল অ্যালগরিদম একটি সঠিক উত্তর দেয়, তবুও এটি সব ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নাও হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, কিছু বাচ্চাদের একটি পূর্বধারণা ছিল যে বিয়োগ অ্যালগরিদম মানে প্রতিটি একক কলামে বড় থেকে ছোট সংখ্যা নেওয়া, নির্বিশেষে যে সংখ্যাটি শীর্ষে ছিল। বাম দিকের চিত্রটি ব্যাখ্যা করতে পারে কেন ভুল অ্যালগরিদমগুলো সর্বদা সঠিক সমাধান তৈরি করতে পারে না।
ব্রাউন এবং বার্টন উল্লেখ করেছেন যে যদিও বিয়োগ অ্যালগরিদম সম্পর্কে ভুল ধারণা রয়েছে এমন শিশুরা বিয়োগের গাণিতিক ক্রিয়াকলাপগুলো বুঝতে পারে বলে মনে হতে পারে, কারণ এটি তাদের অংশ ক) এবং অংশ গ) এ সঠিক সমাধান দিতে গাইড করতে পারে)। যাইহোক, তারা অংশ খ) এবং অংশ ডি-তে একটি ভুল উত্তর দেবে), কারণ দ্বিতীয় কলামের উপরের সংখ্যাগুলো নীচের সংখ্যার চেয়ে ছোট। নাগেল এবং সুইংজেন বিশ্বাস করতেন যে বহন বা ধার করার সাথে ঐতিহ্যবাহী অ্যালগরিদমগুলো কেবল তাদের দক্ষতা এবং নির্ভুলতা বাড়িয়ে তুলতে পারে, তবুও শিক্ষার্থীদের জন্য বোধগম্যতাকে অবহেলা করে।
অতএব, অ্যালগরিদমগুলোর ক্রমিক দিকগুলো কার্যকরভাবে মোকাবেলা করার জন্য, শিক্ষাবিদদের কোনও সমস্যা সমাধানের জন্য একাধিক পদক্ষেপ প্রয়োগ করার সময় শিক্ষার্থীদের তাদের স্থানিক দক্ষতাগুলো ব্যবহার করতে শেখানো উচিত। উদাহরণস্বরূপ, সমস্যাগুলো সফলভাবে সমাধান করার জন্য কীভাবে সংখ্যাগুলো সারিবদ্ধ এবং সঠিকভাবে ব্যবধান রাখা যায় তা তাদের শিখতে হবে; বিশেষ করে যখন তারা কলাম বিয়োগ, একাধিক অঙ্ক গুণ ইত্যাদি গণনা করে। শিক্ষকদের সমস্যা সমাধানের জন্য তাদের নিজস্ব অ্যালগরিদম বিকাশ এবং ব্যবহার করতে শিক্ষার্থীদের উত্সাহিত করা উচিত। তারা তাদের শিক্ষার্থীদের অ্যালগরিদমের সাথে স্মৃতিবিদ্যা অন্তর্ভুক্ত করতে উত্সাহিত করতে পারে; এই পদ্ধতির তাদের সমস্যা সমাধানের পদ্ধতির মতো জিনিসগুলো মনে রাখতে সহায়তা করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, পিইডিএমএএস অপারেশন চালানোর সময় তাদের অর্ডারটি বলতে পারে। কেবল বাম থেকে ডানে একটি গাণিতিক অপারেশন সমাধান করার পরিবর্তে, তারা এখন বুঝতে পারে যে তাদের প্রথমে বন্ধনীগুলো সমাধান করতে হবে। অধিকন্তু, শিক্ষকদের উচিত ছাত্রদের একটি উত্তর সমাধানের চেষ্টা করার আগে প্রথমে পুরো সমস্যাটি দেখতে বলা, তারপরে তাদের শেখানো উচিত যে কীভাবে সমস্যাটিকে ছোট ছোট অংশে বিভক্ত করা যায় এবং অ্যালগরিদমগুলো ব্যবহার করে কোন অংশগুলোর প্রয়োজন হবে তা নির্ধারণ করা। তাদের প্রতিটি অংশের জন্য কোন অ্যালগরিদম প্রয়োগ করা উচিত তাও জানা উচিত; এবং অবশেষে, তাদের প্রতিটি পদক্ষেপের জন্য তাদের উত্তরগুলো প্রতিফলিত করা উচিত। পদক্ষেপগুলো দেখানোর মাধ্যমে, শিক্ষার্থীরা সর্বদা তাদের ভুলগুলো ট্র্যাক করতে পারে এবং শেষ পর্যন্ত একটি সঠিক সমাধানে আসতে পারে।
=== শব্দ সমস্যা কৌশল ===
শব্দ সমস্যাগুলো সমস্ত শিশুদের জন্য একটি বিশেষ কেস উপস্থাপন করে, তবে বিশেষত যারা সমস্যা সমাধানের শেখার অক্ষমতা রয়েছে। গণনামূলক সমস্যা এবং শব্দ সমস্যার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য হলো ভাষাগত তথ্য সংযোজন। অন্য কথায়, লিখিত সমস্যাটিকে একটি গণনামূলক সংখ্যা বাক্যে অনুবাদ করার জন্য শিশুদের প্রথমে লিখিত শব্দগুলো পড়তে হবে এবং তথ্যটি ফিল্টার করতে হবে। সমস্যাটির প্রকৃত গণিত অংশটি শেষ করার আগে শিশুদের অবশ্যই অনুপস্থিত তথ্যের পাশাপাশি প্রাসঙ্গিক তথ্য সনাক্ত করতে হবে।
শব্দ সমস্যাগুলো অনেক শিক্ষার্থীর পক্ষে বোঝার জন্য চ্যালেঞ্জিং তবে শিক্ষার্থীর প্রথম ভাষা ইংরেজি না হলে সমস্যাটি আরও জটিল হয়। জান, এস এবং রড্রিগস, এস (২০১২) মতে, দ্বিতীয় ভাষা হিসাবে ইংরেজি সহ শিশুরা ভাষার বাধার কারণে সমস্যার বিবৃতিগুলো বুঝতে পারে না। তারা মূল শব্দের উপর নির্ভর করে বা সমস্যার বিবৃতিটি ভুল ব্যাখ্যা করে এবং তাই তাদের ফলস্বরূপ সমাধানটি ভুল হতে পারে। মূল শব্দের উপর নির্ভর করা শিক্ষার্থীদের সমস্যাটি বোঝার চেষ্টা থেকে বিভ্রান্ত করতে পারে। "মূল শব্দগুলো দৈনন্দিন ভাষা এবং গাণিতিক ভাষার মধ্যে পার্থক্য করার ক্ষেত্রে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে পারে।
এই গবেষণা থেকে প্রাপ্ত ফলাফলগুলো পরামর্শ দেয় যে ক্লাস বা ছোট গ্রুপ আলোচনা শিক্ষার্থীদের সমস্যার প্রকৃতি স্পষ্ট করার সুযোগ দেবে যাতে তারা কী দেওয়া হচ্ছে এবং কী জিজ্ঞাসা করা হচ্ছে তা বুঝতে পারে। শিক্ষার্থীদের পড়ার, বোঝার, একে অপরের ধারণাগুলো ভাগ করে নেওয়ার এবং বিভিন্ন কৌশল থেকে সমস্যা এবং সমাধান বিবেচনা করার সুযোগ প্রদান করা শিক্ষার্থীদের সমস্যাটির আরও বেশি বোঝার সুযোগ দেবে।
শব্দ সমস্যাগুলো শেখানোর জন্য একটি জ্ঞানীয় পদ্ধতি গ্রহণের ক্ষেত্রে, শিক্ষকের পক্ষে শিক্ষার্থীদের শব্দ সমস্যার অর্থ সম্পর্কে চিন্তাভাবনা এবং আলোচনা করার পর্যাপ্ত সুযোগ প্রদান করা এবং তারপরে তাদের সহপাঠীদের সাথে একাধিক সমাধান বিবেচনা করা গুরুত্বপূর্ণ। এই পদ্ধতির ভাষা বাধা রয়েছে এমন শিক্ষার্থী এবং গণিত শেখার প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী উভয়ের জন্যই মূল্যবান।
লার্নিং ডিসেবিলিটিজ কাউন্সিল সমস্যা সমাধানে শিক্ষার্থীদের নির্দেশ দেওয়ার জন্য নিম্নলিখিত কয়েকটি কৌশল সুপারিশ করে:
''- দ্রুত ড্র'' (মার্সার এবং মিলার, ১৯৯২) আপনি কী সমাধান করছেন তা সন্ধান করুন। নিজেকে জিজ্ঞাসা করুন, "সমস্যার অংশগুলো কী কী? সংখ্যাগুলো সেট আপ করুন। সাইনবোর্ড বেঁধে দিন।
চিহ্নটি আবিষ্কার করুন। সমস্যাটি পড়ুন। উত্তর দিন, বা আঁকুন এবং পরীক্ষা করুন। উত্তরটি লিখুন।
''- প্রশ্ন এবং ক্রিয়া'' (রিভেরা, ১৯৯৪) পদক্ষেপ একটি। সমস্যাটি পড়ুন। প্রশ্ন এমন কোন শব্দ আছে যা আমি জানি না? আমি কি জানি প্রতিটি শব্দের অর্থ কী? আমার কি সমস্যাটি আবার পড়তে হবে? সংখ্যার শব্দ আছে কি? ক্রিয়া শব্দগুলো আন্ডারলাইন করুন। জেনে নিন সংজ্ঞা। আবার পড়ুন। আন্ডারলাইন করুন। b. সমস্যাটি পুনর্ব্যক্ত করুন। কোন তথ্যটি গুরুত্বপূর্ণ? কোন তথ্যের প্রয়োজন নেই? কী সেই প্রশ্ন? আন্ডারলাইন করুন। ক্রস আউট। নিজের কথায় রাখুন। গ. একটি পরিকল্পনা তৈরি করুন। ঘটনা কী? কীভাবে তাদের সংগঠিত করা যায়? কয়টি ধাপ আছে? আমি কোন অপারেশন ব্যবহার করব? একটি তালিকা তৈরি করুন। চার্ট বিকাশ করুন। ম্যানিপুলেটিভস ব্যবহার করুন। ছোট সংখ্যা ব্যবহার করুন। একটি অপারেশন নির্বাচন করুন। ঘ. সমস্যাটি গণনা করুন। আমি কি সঠিক উত্তর পেয়েছি? অনুমান করুন। সঙ্গীর সাথে চেক করুন। ক্যালকুলেটর দিয়ে যাচাই করুন। ই। ফলাফল পরীক্ষা করুন। আমি কি প্রশ্নের উত্তর দিয়েছি? আমার উত্তরটি কি যৌক্তিক বলে মনে হচ্ছে? আমি কি প্রশ্ন/উত্তর দিতে পারি? প্রশ্নটি আবার পড়ুন। প্রশ্ন/উত্তর চেক করুন। একটি সংখ্যা বাক্য লিখুন।
৩. ''টিনস স্ট্র্যাটেজি'' (ওয়েন, ২০০৩) শব্দ সমস্যাগুলো বিশ্লেষণ এবং সমাধানের জন্য ব্যবহৃত বিভিন্ন পদক্ষেপগুলো এই সংক্ষিপ্ত বিবরণ দিয়ে প্রতিনিধিত্ব করা হয়। চিন্তা: এই সমস্যা সমাধানের জন্য আপনাকে কী করতে হবে তা ভেবে দেখুন এবং মূল শব্দগুলো বৃত্তাকার করুন। তথ্য: এই সমস্যা সমাধানের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য বৃত্তাকার করুন এবং লিখুন; একটি ছবি আঁকুন; অপ্রয়োজনীয় তথ্য ক্রস করুন। সংখ্যার বাক্য: সমস্যাটি উপস্থাপন করতে একটি সংখ্যা বাক্য লিখুন। সমাধান বাক্য: একটি সমাধান বাক্য লিখুন যা আপনার উত্তরটি ব্যাখ্যা করে। উদাহরণ: কাইল ৬ বেসবল কার্ড কিনেছিল। পরের দিন, তিনি তার সংগ্রহে আরও ১১ টি কার্ড যুক্ত করেছিলেন। তার কাছে মোট কয়টি কার্ড আছে? ভাবনাঃ + তথ্য: ৬ বেসবল কার্ড, ১১ বেসবল কার্ড সংখ্যা বাক্য: ৬ + ১১ = সমাধান বাক্য: কাইলের সংগ্রহে ১৭ টি বেসবল কার্ড রয়েছে।
৪. ''সমস্যা সমাধান'' (বিরশ, লিয়ন, ডেনকলা, অ্যাডামস, মোটস এবং স্টিভস, ১৯৯৭) আগে সমস্যাটা পড়ুন। প্রশ্নটি হাইলাইট করুন। গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বৃত্তাকার করুন। একটি পরিকল্পনা বিকাশ করুন। সংখ্যাগুলো উপস্থাপন করতে ম্যানিপুলেটিভ ব্যবহার করুন। পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করুন। আপনার কাজ চেক করুন।
=== বীজগণিত শেখানোর জন্য জ্ঞানীয় শিক্ষক ===
১৯৮৫ সালে, অ্যান্ডারসন, বয়েল এবং রেইগসার ইন্টেলিজেন্ট টিউটরিং সিস্টেমগুলোতে জ্ঞানীয় মনোবিজ্ঞানের শৃঙ্খলা যুক্ত করেছিলেন। তখন থেকে, বুদ্ধিমান টিউটরিং সিস্টেমটি শিক্ষার্থীদের জ্ঞান অর্জনের জন্য জ্ঞানীয় মডেল তৈরির জন্য এই পদ্ধতিটি গ্রহণ করেছিল যার নাম দেওয়া হয়েছিল জ্ঞানীয় টিউটর। [® ট্রেডমার্কের মালিক কার্নেগি লার্নিং, ইনকর্পোরেটেড বীজগণিত I, II, বীজগণিতের সেতু, জ্যামিতি এবং ইন্টিগ্রেটেড ম্যাথ I, II, III সহ পূর্ণ-স্কেল জ্ঞানীয় টিউটর® বিকাশ করছে। কগনিটিভ টিউটরে® এখন স্প্যানিশ মডিউলও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
==== কিভাবে শেখাবেন ====
দুটি অন্তর্নির্মিত অ্যালগরিদম, '''''মডেল ট্রেসিং''''' এবং '''''জ্ঞান ট্রেসিং''''' সফ্টওয়্যার ব্যবহারের সময় শিক্ষার্থীদের শেখার নিরীক্ষণে সহায়তা করতে পারে। মডেল ট্রেসিং জাস্ট-ইন-টাইম প্রতিক্রিয়া, অন-ডিমান্ড ইঙ্গিতগুলো সরবরাহ করতে পারে এবং শিক্ষার্থীদের পারফরম্যান্স ট্রেসের প্রতিটি পদক্ষেপের উপর ভিত্তি করে সামগ্রী-নির্দিষ্ট পরামর্শ দিতে পারে। জ্ঞান ট্রেসিং পূর্বের জ্ঞানের উপর ভিত্তি করে প্রতিটি ব্যবহারকারীর জন্য শেখার কাজগুলো পৃথক করতে পারে।
কগনিটিভ টিউটর কীভাবে জাস্ট-ইন-টাইম ফিডব্যাক, অন-ডিমান্ড ইঙ্গিত, বিষয়বস্তু-নির্দিষ্ট পরামর্শ এবং ব্যক্তিগতকৃত কাজগুলোর মাধ্যমে বীজগণিত শেখার সুবিধার্থে আরও বিশদ তথ্য পেতে আপনি ''সমস্যা সমাধান, সমালোচনামূলক চিন্তাভাবনা এবং যুক্তি'' (২.৫.২ জ্ঞানীয় টিউটরের তাত্ত্বিক পটভূমি) অধ্যায়ে যেতে পারেন।
==== কগনিটিভ টিউটর® বীজগণিত প্রথম ====
জ্ঞানীয় টিউটরদের কার্যকারিতা সম্পর্কে, পূর্ববর্তী গবেষণা প্রমাণ শ্রেণীকক্ষের নির্দেশনার চেয়ে জ্ঞানীয় টিউটরদের কার্যকারিতাকে বেশি সমর্থন করে।[১][২][৩][৪] তবে, মার্কিন শিক্ষা বিভাগের শিক্ষা বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট দ্বারা প্রতিষ্ঠিত সাম্প্রতিক স্বাধীন বৃহৎ পরিসরের গবেষণা, হোয়াট ওয়ার্কস ক্লিয়ারিংহাউস, [৫], জ্ঞানীয় টিউটর® বীজগণিত I-এর উপর ২২টি গবেষণার মধ্যে ৬টি পর্যালোচনা করেছে, যার মধ্যে ১১৮টি স্থানে ৮-১৩ শ্রেণীর ১২,৮৪০ জন শিক্ষার্থী অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। গবেষকরা দেখেছেন যে জ্ঞানীয় টিউটর® বীজগণিত I বীজগণিতের উপর মিশ্র প্রভাব ফেলে এবং মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের জন্য সাধারণ গণিত অর্জনের উপর কোনও পরিসংখ্যানগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ বা উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলে না।
মর্গান এবং রিটার, [৬] মুর, ওকলাহোমার পাঁচটি ভিন্ন স্কুলে নবম শ্রেণীর বীজগণিত ক্লাসে একটি শিক্ষক-সহ একটি পরীক্ষা পরিচালনা করেছিলেন। এই গবেষণায়, প্রতিটি শিক্ষককে কমপক্ষে একটি জ্ঞানীয় টিউটর® বীজগণিত I সমন্বিত শ্রেণীকক্ষ এবং একটি ঐতিহ্যবাহী শ্রেণীকক্ষ বরাদ্দ করা হয়েছিল। অনুসন্ধানে দেখা গেছে যে, কগনিটিভ টিউটর® অ্যালজেব্রা I ব্যবহার করে যারা শিখেছে তারা তাদের সমবয়সীদের তুলনায় ভালো ফলাফল করেছে যারা সফটওয়্যার ব্যবহার করেনি, এবং গণিতের প্রতি ইতিবাচক মনোভাব, যেমন গণিতে আত্মবিশ্বাস বেশি ছিল।
ক্যাবালো, জ্যাকিউ এবং ভু[৭] হাওয়াইয়ের মাউই কাউন্টির পাঁচটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কগনিটিভ টিউটর® অ্যালজেব্রা I এর কার্যকারিতা পরীক্ষা করার জন্য একটি এলোমেলো পরীক্ষা পরিচালনা করেছে। কগনিটিভ টিউটর® অ্যালজেব্রা I বাস্তবায়নের ছয় মাস পর, শিক্ষার্থীদের ২০০৫-০৬ শিক্ষাবর্ষের শেষে NWEA অ্যালজেব্রা এন্ড-অফ-কোর্স অ্যাচিভমেন্ট লেভেল পরীক্ষা দিতে হয়েছিল। অনুসন্ধানে দেখা গেছে যে, সামগ্রিকভাবে কগনিটিভ টিউটর® সফ্টওয়্যারের প্রতি শিক্ষার্থীদের ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করা হয়েছে এবং বেশিরভাগ শিক্ষার্থী, সফটওয়্যার ব্যবহার করুক বা না করুক, গণিত পরীক্ষায় উন্নতি দেখিয়েছে। তবে, কগনিটিভ টিউটর® ব্যবহার করার আগে যাদের স্কোর কম ছিল তারা উচ্চ প্রাথমিক স্কোর প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নতি করেছে।
ক্যাম্পুজানো, ডাইনারস্কি, আগোডিনি এবং রাল[৮] প্রযুক্তি-ভিত্তিক শিক্ষার কার্যকারিতার উপর কংগ্রেস কর্তৃক নির্দেশিত একটি ২ বছরের গবেষণা পরিচালনা করেছেন, যার মধ্যে চারটি জেলার নয়টি উচ্চ-দারিদ্র স্কুলে দ্বিতীয় বর্ষে কগনিটিভ টিউটর® অ্যালজেব্রা I নিয়োগ করা অন্তর্ভুক্ত। গবেষকরা এলোমেলোভাবে নিয়ন্ত্রিত পরীক্ষার পদ্ধতি গ্রহণ করেছেন এবং শিক্ষকদের এলোমেলোভাবে সফ্টওয়্যার ব্যবহার করার জন্য অথবা বিদ্যমান স্কুল পাঠ্যক্রম ব্যবহার চালিয়ে যাওয়ার জন্য নিয়োগ করেছেন। সমস্ত শিক্ষার্থীকে শরৎ এবং বসন্তে ETS শেষ কোর্স পরীক্ষা দেওয়া হয়েছিল, এবং যারা সফ্টওয়্যারটি ব্যবহার করেছিলেন তাদের প্রথম বছরের তুলনায় দ্বিতীয় বর্ষে উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি স্কোর ছিল। তবে, হস্তক্ষেপ গোষ্ঠী এবং তুলনামূলক গোষ্ঠীর মধ্যে পরীক্ষার স্কোরের পার্থক্য খুব কম (p<০.৩)।
পেন, গ্রিফিন, ম্যাক্যাফ্রে এবং কারাম[৯] আমেরিকায় প্রযুক্তি-সমন্বিত বীজগণিত পাঠ্যক্রমের কার্যকারিতা পরীক্ষা করার জন্য এলোমেলোভাবে নিয়ন্ত্রিত পরীক্ষা গ্রহণ করেছেন। গবেষণাটি টানা দুই স্কুল বছর ধরে চলেছিল এবং কগনিটিভ টিউটর® অ্যালজেব্রা I সফ্টওয়্যারটি শিক্ষক-নির্দেশিত শ্রেণীকক্ষের নির্দেশনা (সপ্তাহে ৩ দিন) এবং কম্পিউটার-নির্দেশিত নির্দেশনা (সপ্তাহে ২ দিন) উভয় ক্ষেত্রেই প্রয়োগ করা হয়েছিল। উচ্চ বিদ্যালয়ের ফলাফলগুলি প্রথম স্কুল বছরে ইন্টারভেনশন গ্রুপ এবং তুলনামূলক গ্রুপের শিক্ষার্থীদের মধ্যে শেখার সাফল্যের সামান্য পার্থক্য দেখিয়েছে (p<০.৪৬)। তবে, প্রমাণগুলি দৃঢ়ভাবে দ্বিতীয় বছরে (p<০.০৪) কগনিটিভ টিউটর® অ্যালজেব্রা I সংহত করার সুবিধাগুলিকে সমর্থন করে, ইন্টারভেনশন গ্রুপের কম কৃতিত্বের শিক্ষার্থীদের একই গ্রুপের উচ্চ-কর্মক্ষমতা সম্পন্ন শিক্ষার্থীদের তুলনায় বেশি উন্নতি হয়েছে।
== শব্দকোষ ==
'''অ্যালগরিদম''' গণিতের একটি ধারাবাহিক ধাপ সহ একটি পদ্ধতি যা যখন কোনও গাণিতিক সমস্যা সমাধানের জন্য যথাযথভাবে ব্যবহার করা হয়, তখন এটি একটি সঠিক সমাধান দেয়।
'''প্রয়োগ''' ঘটে যখন শিক্ষার্থীরা গাণিতিক ধারণা এবং দৈনন্দিন জীবনের পরিস্থিতির মধ্যে সংযোগ তৈরি করতে সক্ষম হয়।
'''ব্যাখ্যা''' ঘটে যখন শিক্ষার্থীরা কোনও সমস্যার দিকগুলো সনাক্ত করে এবং বিশ্লেষণ করে, এটি তাদের সমস্যা সমাধানের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য ব্যাখ্যা করতে দেয়।
'''শ্রেণিবিন্যাস''' হলো অনুরূপ বৈশিষ্ট্যের উপর ভিত্তি করে বস্তুর গোষ্ঠীভুক্তকরণের ক্ষমতা।
'''ধারণাগত জ্ঞান''' হলো মানসিক কাঠামো যা শিক্ষার্থীদের যুক্তি এবং গণিতের বোঝার প্রচার করে।
'''ঘোষণামূলক জ্ঞান''' হলো যখন গাণিতিক ধারণাগুলো, যা বাস্তব জ্ঞান, দীর্ঘমেয়াদী স্মৃতি থেকে পুনরুদ্ধার করা হয়; অতএব, অন্যান্য জটিল গাণিতিক সমস্যা সমাধানের জন্য এই ধারণাগুলো ব্যবহার করে।
'''মূল্যায়ন''' ঘটে যখন শিক্ষার্থীরা কোনও সমস্যা সমাধানের সঠিকতা নির্ধারণ করতে একটি নির্দিষ্ট রুব্রিক ব্যবহার করতে পারে।
'''অনুমান''' ঘটে যখন শিক্ষার্থীরা নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে সাধারণ ধারণাগুলো ব্যবহার করতে এবং বস্তুর মধ্যে মিল এবং পার্থক্যগুলো আলাদা করতে সক্ষম হয়।
'''অন্তর্নিহিত প্রেরণা''' হলো যখন শিক্ষার্থীরা মূলত তাদের নিজস্ব ব্যক্তিগত স্বার্থের জন্য সম্পাদন করতে চায়।
'''মেটাকগনিটিভ''' হলো জ্ঞান যা কারও চিন্তাভাবনা এবং শেখার নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যবহৃত হয়।
'''পদ্ধতিগত জ্ঞান''' হলো কৌশল পদক্ষেপের ক্রম ব্যবহার করে গাণিতিক সমস্যাগুলো কীভাবে সমাধান করা যায় সে সম্পর্কে জ্ঞান।
'''সেরিয়েশন''' হলো দৈর্ঘ্য, ওজন বা ভলিউমের মতো আকারের উপর ভিত্তি করে ছোট থেকে বড় অবজেক্টগুলো অর্ডার করার ক্ষমতা।
'''স্ব-নিয়ন্ত্রিত শিক্ষা''' হলো নিজের শেখার নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা, পরিকল্পনা করা থেকে শুরু করে পরে কীভাবে পারফরম্যান্সের মূল্যায়ন করা হয়।
'''স্বল্পমেয়াদী স্মৃতি''' অস্থায়ীভাবে তথ্য সংরক্ষণের জন্য দায়ী যা অবশ্যই ব্যবহার করা উচিত, তবে অগত্যা ম্যানিপুলেটেড নয়।
'''কার্যকর স্মৃতি''' হলো সিস্টেমটি অস্থায়ীভাবে নতুন বা পূর্বে সঞ্চিত তথ্য ধারণ করার জন্য দায়ী যা বর্তমান টাস্ক সমাপ্তির জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে।
== প্রস্তাবিত পাঠ ==
# নবীন শিক্ষকদের গণিতের সমস্যা সমাধানের বিশ্বাস এবং উপলব্ধির একটি কেস স্টাডি। ''Baker, C. K. (২০১৫)। নবীন শিক্ষকদের গণিতের সমস্যা সমাধানের বিশ্বাস এবং উপলব্ধির একটি কেস স্টাডি। গবেষণামূলক অ্যাবস্ট্রাক্ট ইন্টারন্যাশনাল সেকশন এ, ৭৫''
# পাইগেট এবং ভাইগটস্কি: অনেক সাদৃশ্য, এবং একটি গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য। ''Lourenço, O. (২০১২)। পাইগেট এবং ভাইগটস্কি: অনেক সাদৃশ্য, এবং একটি গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য। মনোবিজ্ঞানে নতুন ধারণা, ৩০ (৩), ২৮১-২৯৫। ডিওআই:১০.১০১৬/j.newideapsych.২০১১.১২.০০৬''
== তথ্যসূত্র ==
ফুচস, এলএস, ফুচস, ডি, স্টুবিং, কে, ফ্লেচার, জেএম, হ্যামলেট, সিএল, এবং ল্যামবার্ট, ডাব্লু (২০০৮)। সমস্যা সমাধান এবং গণনামূলক দক্ষতা: তারা গাণিতিক জ্ঞানের ভাগ বা স্বতন্ত্র দিক? শিক্ষাগত মনোবিজ্ঞান জার্নাল ১০০ (১), ৩০
হানিচ, এলবি, জর্ডান, এনসি, কাপলান, ডি, এবং ডিক, জে (২০০১)। "শেখার প্রতিবন্ধী শিশুদের মধ্যে গাণিতিক জ্ঞানের বিভিন্ন ক্ষেত্র জুড়ে পারফরম্যান্স"। শিক্ষাগত মনোবিজ্ঞান জার্নাল, ৯৩, ৬১৫–৬২৬।
রাউর্ক, বিপি, এবং ফিনলেসন, এমএজে (১৯৭৮)। "একাডেমিক দক্ষতার নিদর্শনগুলোর বিভিন্নতার নিউরোপাইকোলজিকাল তাত্পর্য: মৌখিক এবং ভিজ্যুয়াল-স্থানিক ক্ষমতা"। অস্বাভাবিক শিশু মনোবিজ্ঞান জার্নাল, ৬, ১২১–১৩৩।
সোয়ানসন, এইচএল, এবং বিবে-ফ্রাঙ্কেনবার্গার, এম (২০০৪)। "গুরুতর গণিতের অসুবিধার ঝুঁকিতে থাকা এবং ঝুঁকিতে থাকা শিশুদের মধ্যে কার্যকর স্মৃতি এবং গাণিতিক সমস্যা সমাধানের মধ্যে সম্পর্ক"। শিক্ষাগত মনোবিজ্ঞান জার্নাল, ৯৬, ৪৭১–৪৯১।
সোয়ানসন, এইচ এল (২০০৩)। "শেখার অক্ষম এবং দক্ষ পাঠকদের কাজের মেমরিতে বয়স-সম্পর্কিত পার্থক্য"। পরীক্ষামূলক শিশু মনোবিজ্ঞান জার্নাল, ৮৫, ১–৩১।
{{সূত্র তালিকা}}
e0tnyinq936azle16ik144jcuman2qh
84667
84662
2025-06-17T19:02:56Z
NusJaS
8394
/* গণিত শেখার ক্ষেত্রে কার্যকর স্মৃতির গুরুত্ব */
84667
wikitext
text/x-wiki
গণিতের বিভিন্ন শাখা রয়েছে যেমন জ্যামিতি, বীজগণিত, ক্যালকুলাস এবং সম্ভাব্যতা; প্রতিটি ক্ষেত্রেই রয়েছে বিশেষ ধরনের ধারণা ও পদ্ধতির দক্ষতা অর্জনের প্রয়োজন। শিক্ষাদান এবং শেখার ক্ষেত্রে যে চ্যালেঞ্জগুলো থাকে, তা বোঝা ও অতিক্রম করা যায় জ্ঞানীয় প্রক্রিয়ার বিশ্লেষণের মাধ্যমে। এই অধ্যায়ে আমরা গণিত শিক্ষায় প্রাসঙ্গিক জ্ঞানীয় তত্ত্ব ও গবেষণা পর্যালোচনা করব। আমরা পাইজেটের জ্ঞানীয় বিকাশ তত্ত্বের প্রাসঙ্গিক দিকগুলো এবং এই তত্ত্বের সমালোচনা আলোচনা করব। আমরা ব্যাখ্যা করব কীভাবে বিভিন্ন বিষয় একজন শিক্ষার্থীর গণিত শেখার সক্ষমতাকে প্রভাবিত করে এবং কীভাবে শিক্ষকরা পাঠ পরিকল্পনার সময় এই বিষয়গুলো বিবেচনায় নিতে পারেন।
==গণিত কী?==
গণিত হলো সংখ্যা, পরিমাণ, জ্যামিতি এবং স্থান ও এদের পারস্পরিক সম্পর্ক এবং কার্যাবলীর অধ্যয়ন। এটি '''ধারণাগত, প্রক্রিয়াগত এবং ঘোষণামূলক জ্ঞান'''-এর সংমিশ্রণ ব্যবহার করে।<ref>Wong, B., Graham, L., Hoskyn, M., & Berman, J. (Eds.). (2008). ''The ABCs of learning disabilities'' (2nd ed.). Boston: Elsevier Academic Press. </ref> গণিত সমস্যার সফল সমাধানের জন্য শিক্ষার্থীদের এই জ্ঞানসমষ্টি অর্জন করতে হয়। গণিতে সঠিকভাবে সম্পৃক্ত হওয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের আগে ধারণাগত জ্ঞান অর্জন করতে হবে, যার জন্য পূর্বে শেখা ধারণাগুলোর প্রয়োগ দরকার হয়। গণিতের ধারণাগত জ্ঞান অন্য সব গণিত-সম্পর্কিত দক্ষতার উন্নয়নে সহায়তা করে যেমন: ইতিবাচক মনোভাব, প্রক্রিয়াগত দক্ষতা, কৌশলগত পারদর্শিতা এবং অভিযোজিত যুক্তিশক্তি। একটির বিকাশ অন্যগুলোকেও শক্তিশালী করে এবং এতে সামগ্রিক জ্ঞান বৃদ্ধি পায়। অর্থাৎ, ধারণাগত জ্ঞান প্রক্রিয়াগত জ্ঞানকে সমৃদ্ধ করে, এবং এই ধারাটি চলতে থাকে।<ref>Bruning, R., Schraw, G., & Norby, M. (2011). ''Cognitive Psychology and Instruction'' (5th ed.). Boston: Pearson Education.</ref> উদাহরণস্বরূপ, গণিতে অনেক ধরনের অ্যালগরিদম রয়েছে যেগুলো শিক্ষার্থীদের জানা প্রয়োজন। যখন শিক্ষার্থীরা গণিতের মূলনীতি ও ধারণাগুলো পরিষ্কারভাবে বুঝতে পারে, তখন তারা যেকোনো সমস্যার জন্য যথাযথ অ্যালগরিদম বেছে নিয়ে তা প্রয়োগ করতে সক্ষম হয়। এটি ধারণাগত ও প্রক্রিয়াগত জ্ঞানের সংযোগ নির্দেশ করে কারণ শিক্ষার্থীরা অনেক কৌশল শিখলেও সঠিকটি বেছে নেওয়া এবং তা প্রয়োগ করাই মূল বিষয়।<ref>Bruning, R., Schraw, G., & Norby, M. (2011). ''Cognitive Psychology and Instruction'' (5th ed.). Boston: Pearson Education.</ref> এছাড়াও, জটিল গণিত সমস্যার সমাধানে কোনো প্রক্রিয়া সফল হলে বা ব্যর্থ হলে শিক্ষার্থীরা প্রায়ই সেখান থেকে আরও শিখতে পারে। ভুলের মাধ্যমে আত্ম-প্রশ্ন করে তারা নিজের বিদ্যমান জ্ঞান পুনর্গঠন করতে পারে এবং ফলে তাদের ধারণাগত জ্ঞান বৃদ্ধি পায়। ঘোষণামূলক জ্ঞান ধারণাগত ও প্রক্রিয়াগত জ্ঞানের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত কারণ এতে শিক্ষার্থীদের দীর্ঘমেয়াদি স্মৃতি থেকে ধারণা (ধারণাগত জ্ঞান) ও নির্দিষ্ট অ্যালগরিদম (প্রক্রিয়াগত জ্ঞান) পুনরুদ্ধার করতে হয়। এই তিনটি ক্ষেত্রের যেকোনো একটির ঘাটতি গণিত শেখায় অসুবিধা সৃষ্টি করতে পারে।<ref>Wong, B., Graham, L., Hoskyn, M., & Berman, J. (Eds.). (2008). ''The ABCs of learning disabilities'' (2nd ed.). Boston: Elsevier Academic Press.</ref> সুতরাং, এই তিন ধরনের জ্ঞানের সংমিশ্রণ একে অপরের সঙ্গে সংযুক্ত থাকায় তা শিক্ষার প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করে।
==জ্ঞানীয় তত্ত্ব এবং গণিত==
===পাইজেটের জ্ঞানীয় বিকাশ তত্ত্ব===
জঁ পাইজেট জন্ম থেকে কৈশোর পর্যন্ত জ্ঞানীয় বিকাশকে চারটি ধাপে ভাগ করেছেন: সংবেদনশীল গতি (জন্ম থেকে ২ বছর), প্রাক-পরিচালন (প্রায় ২ থেকে ৭ বছর), কংক্রিট অপারেশনাল (প্রায় ৭ থেকে ১১ বছর), এবং ফর্মাল অপারেশনাল (প্রায় ১১ থেকে ১৫ বছর)। যদিও সবাই এই ধাপগুলোতে ভিন্নভাবে অগ্রসর হয়, পাইজেট বিশ্বাস করতেন প্রতিটি শিশু পর্যায়ক্রমে প্রতিটি ধাপ অতিক্রম করবে এবং কেউ কোনো ধাপ বাদ দেবে না কারণ পূর্ববর্তী ধাপ না শেখা পর্যন্ত পরবর্তী ধাপে যাওয়া সম্ভব নয়; সময়ের বিষয় মাত্র।<br />
পাইজেট আরও বলেন, শিশুর শেখা মূলত জন্ম থেকে ২ বছর পর্যন্ত চলাফেরা ও পাঁচটি ইন্দ্রিয়ের মাধ্যমে গঠিত হয়। জন্মের কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই শিশু বস্তু অনুসরণ এবং ধরার চেষ্টা শুরু করে, যা চোখ ও চলন সংক্রান্ত মস্তিষ্কের অংশগুলোকে বিকশিত করতে সাহায্য করে। একবার শিশু বুঝে যায় যে শেখা পুনরাবৃত্তির মাধ্যমে হয়, তখন তারা নিজেরা পরিকল্পনা করে কাঙ্ক্ষিত বস্তু পেতে দক্ষ উপায়ে কাজ করে। পাইজেট দাবি করেন যে এই পর্যায়ে শিশুরা সংখ্যাকে বস্তুর সঙ্গে সংযুক্ত করতে পারে<ref>Piaget, J. (1977). Epistemology and psychology of functions. Dordrecht, Netherlands: D. Reidel Publishing Company.</ref> এবং এমনও প্রমাণ আছে যে শিশুরা সংখ্যার ধারণা ও গণনার কিছু ধারণা ইতোমধ্যেই অর্জন করে<ref>Fuson, K. C. (1988). Children’s counting and concepts of numbers. New York: Springer.</ref>। এই পর্যায়ে শিশুদের গণিত দক্ষতা গঠনের জন্য শিক্ষকরা এমন কার্যক্রম দিতে পারেন যাতে সংখ্যা ও গণনা যুক্ত থাকে। যেমন, ছবি যুক্ত বই পড়ানো যেতে পারে। এতে শিশুরা বস্তুর ছবি ও সংশ্লিষ্ট সংখ্যার মধ্যে সম্পর্ক তৈরি করতে শিখবে এবং পড়া ও অনুধাবন ক্ষমতাও বাড়বে। এই সময়ে পাইজেট দেখিয়েছেন যে শিশুরা নিজেরাই বস্তু ও জ্ঞানের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করতে পারে, যা বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশে সহায়তা করে।<ref>Piaget, J. (1963). The origins of intelligence in children. New York, NY: W.W. Norton & Company, Inc.</ref> যেহেতু পাইজেট মনে করতেন, একজন ব্যক্তির আগে অর্জিত জ্ঞানের ওপর ভিত্তি করে পরবর্তী ধাপে যেতে হয়, তাই সংখ্যা সম্পর্কে শিশুদের বোঝাপড়া বাড়ানোর জন্য এমন কার্যক্রমের মাধ্যমে গণিতের ভিত্তি তৈরি করা উচিত যাতে গণনা অন্তর্ভুক্ত থাকে।<br />
প্রায় ২ থেকে ৭ বছর বয়সে শিশুরা ভাষা, প্রতীকী চিন্তা, আত্মকেন্দ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি এবং সীমিত যৌক্তিকতা অর্জন করে। এই সময়ে তারা সংখ্যা বা ব্লকের মতো বস্তুর মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করতে শেখে। যদিও তারা সংখ্যার কিছু ধারণা অর্জন করে, তবে তাদের যৌক্তিক ক্ষমতা সীমিত থাকে এবং তারা বিপরীত ক্রমে কার্য পরিচালনা করতে পারে না। যেমন, যারা বুঝতে পারে ৫+৩ = ৮, তারা বুঝতে নাও পারে ৩+৫ = ৮। পাইজেটের মতে, কারণ তারা কোনো একটি দিক বুঝলে অন্য দিক হারিয়ে ফেলে। এই সময়ে শিক্ষকেরা শিশুদের দিয়ে নির্দিষ্ট গঠন তৈরি করতে পারে ব্লক দিয়ে। এতে তারা একজাতীয় বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে গোষ্ঠীভুক্ত করতে শিখবে এবং বুঝবে একাধিক উপায়ে এটি তৈরি করা যায়।<ref>Thompson, C. S. (1990). Place value and larger numbers. In J. N. Payne (Ed.), Mathematics for young children (pp. 89–108). Reston, VA: National Council of Teachers of Mathematics.</ref> <br />
৭ থেকে ১১ বছর বয়সে শিশুরা জ্ঞানীয়ভাবে দ্রুত বিকশিত হয়। তারা একাধিক দিক বা মাত্রা বুঝতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, পাইজেট একটি পরীক্ষায় একই পরিমাণ তরলকে ভিন্ন আকারের বোতলে ঢেলে দেখিয়েছিলেন — এই পর্যায়ের শিশুরা বুঝতে পারে তরলের উচ্চতা কেন পরিবর্তন হয়। এই সময়ে ‘শ্রেণিবিন্যাস’ ও ‘সিরিয়েশন’-এর দক্ষতা গড়ে ওঠে<ref>Piaget, J. (1977). Epistemology and psychology of functions. Dordrecht, Netherlands: D. Reidel Publishing Company.</ref>। তারা একজাতীয় বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে বস্তু শ্রেণিবদ্ধ করতে শেখে এবং বৃদ্ধিপ্রাপ্ত বা হ্রাসপ্রাপ্ত মান অনুযায়ী সাজাতে শেখে। যদিও এই পর্যায়ে তারা মৌলিক গণনাগুলো জানতে পারে, তবে বাস্তব সমস্যায় তা প্রয়োগ করতে পারে না। যেমন, ৩টি সারিতে ৫টি ব্লক দিয়ে তৈরি গঠনের সংখ্যা গণনা করতে বললে, তারা গুণের ধারণা ব্যবহার করে না। অর্থাৎ, এই সময়ে তাদের গাণিতিক ধারণাগুলো বাস্তব বস্তুর সঙ্গে সংযুক্ত থাকতে হয়। তারা এখনো পরিমাপের উপর ভিত্তি করে সুনির্দিষ্ট পদ্ধতি তৈরি করতে সক্ষম নয়।<br />
১১ থেকে ১৫ বছর বয়সে শিশুরা নিজেরাই তত্ত্ব তৈরি করতে এবং গণিতের ধারণা গঠন করতে পারে। তারা বিমূর্ত ধারণাকে বাস্তব পরিস্থিতির সঙ্গে মিলিয়ে নিতে পারে। যেমন, তারা এখন অ্যালজেব্রার একটি সমস্যা নিজে নিজে সমাধান করতে পারে, যেখানে আগে শিক্ষককে বাস্তব উদাহরণ দিতে হতো। তারা কারণ নির্ণয়, ব্যাখ্যা, বিশ্লেষণ এবং প্রয়োগ করতে শেখে। শিক্ষকেরা তাদের শেখাতে পারেন কীভাবে শব্দের সমস্যা বিশ্লেষণ করতে হয় এবং কোন তথ্য প্রাসঙ্গিক আর কোনটা নয় তা বোঝাতে হয়।<br />
পাইজেট মনে করতেন, যদি কোনো শিশু কোনো ধারণা বুঝতে ব্যর্থ হয়, তবে সেটির কারণ হচ্ছে সমস্যা থেকে সরাসরি গাণিতিক রূপান্তরে যাওয়ার চেষ্টা। তার মতে, শিশুদের শেখাতে হলে এমন পদ্ধতি নিতে হবে যা তাদের নিজে আবিষ্কার করতে উৎসাহ দেয়, যাতে তারা নিজেরাই ধারণা গড়ে তুলতে পারে, পরিবর্তে শিক্ষক তাদের সরাসরি উত্তর না দিয়ে। <ref>Piaget, J. (1968). Genetic epistemology. New York, NY: Columbia University Press Retrieved June 13, 2003 from the World Wide Web: http://www.marxists.org/reference/subject/philosophy/works/fr/piaget.htm</ref>
=== পাইগেট তত্ত্বের সমালোচনা ===
{| class="wikitable"
!পাইগেটের জ্ঞানীয় বিকাশের বিশ্বাস
!সমালোচনা
|-
|১) শিশুরা বস্তুর স্থায়িত্ব বোঝার বিকাশ শুরু করে
|
* পাইগেট শিশুদের অনুপ্রেরণার প্রয়োজনীয়তা উপেক্ষা করেছিলেন
* শিশুদের স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়
|-
|২) শিশুদের সংবেদনশীল ক্ষমতা এবং জ্ঞানীয় বিকাশ তাদের জন্মের প্রথম ৬ মাসের মধ্যে ঘটে
|
* সমস্ত শিক্ষার্থী একই নয়, তাদের অনন্য দক্ষতার ভিত্তিতে তাদের উচ্চতর বা নিম্ন বিভাগে স্থাপন করা যেতে পারে
|-
|৩) প্রতিটি শিশু একটি নির্দিষ্ট ক্রমে চারটি পর্যায়ের অভিজ্ঞতা অর্জন করবে
|
* পাইগেট বংশগতি, সংস্কৃতি এবং শিক্ষার মতো বাহ্যিক কারণগুলোকে অবহেলা করেছিলেন
|-
|৪) পাইগেট জ্ঞানীয় বিকাশকে নির্দিষ্ট পর্যায়ে পৃথক করে
|
* জ্ঞানীয় বিকাশের পর্যায়গুলো ধীরে ধীরে এবং ক্রমাগত অগ্রগতি হিসাবে দেখা উচিত
|}
যদিও আধুনিককালে শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের জ্ঞানীয় বিকাশ পর্যবেক্ষণের জন্য পাইগেটের তত্ত্ব ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়, তবুও এ নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। অনেক শিক্ষাবিদ পাইগেটের তত্ত্বের উপর নির্ভর করে শিক্ষার্থীদের গাণিতিক শিক্ষার উপযুক্ততা পরিমাপ করেন। অন্যদিকে, হিবার্ট ও কার্পেন্টার মত দিয়েছেন যে, পাইগেটের তত্ত্ব তেমন কার্যকর নির্দেশনা নয়, কারণ বহু গবেষণায় প্রমাণ হয়েছে যে, অনেক শিশু যারা পাইগেটের তত্ত্ব অনুসরণ করতে পারে না, তারাও গাণিতিক ধারণা ও দক্ষতা অর্জনে সক্ষম।<ref>Hiebert, J., and T. P. Carpenter. "Piagetian Tasks as Readiness Measures in Mathematics Instruction: A CriticalReview." EDUCATIONAL STUDIES IN MATHEMATICS 13: 329-345, 1982</ref>
পাইগেট যেখানে শিশুর অভ্যন্তরীণ জ্ঞান অনুসন্ধানের উপর গুরুত্ব দেন এবং বিশ্বাস করতেন যে, জন্ম থেকে দুই বছর পর্যন্ত শিশু বস্তু স্থায়ীত্ব (যেমন: লুকানো বস্তু খোঁজার ধারণা) শেখে, অন্য গবেষকরা বলেন, পাইগেট শিশুদের প্রেরণার প্রয়োজনীয়তাকে অবহেলা করেছেন। বার্গার মনে করেন বাহ্যিক প্রেরণা ও শিক্ষাও গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলে।<ref>Berger, K.S. (1988). The developing person through the life span (2nd ed.). New York: Worth Publishers Ltd.</ref>
ক্যাগান বিশ্বাস করেন, শিশু যখন স্থান পরিবর্তনের পরও বস্তু স্পর্শ করতে পারে, এর পেছনের কারণ তাদের মস্তিষ্কের স্মৃতি ধারণক্ষমতার বৃদ্ধি, পাইগেটের ধারণার মতো নতুন কোনো জ্ঞানীয় গঠনের কারণে নয়।<ref>Berger, K.S. (1988). The developing person through the life span (2nd ed.). New York: Worth Publishers Ltd.</ref>
পাইগেটকে সমালোচনা করা হয়েছে শিশুদের সামর্থ্য নিয়ে অতিরিক্ত সাধারণায়নের জন্য। তিনি সিদ্ধান্তে এসেছিলেন, শিশুর সংবেদনশীলতা ও জ্ঞানীয় বিকাশ জন্মের প্রথম ছয় মাসেই ঘটে। যদিও পাইগেট বিশ্বাস করতেন, প্রতিটি শিশু নির্দিষ্ট ধাপে নির্দিষ্ট ক্রমে অগ্রসর হয়, হেউভেল-পানহুইজে বলেন, পাইগেটের তত্ত্ব ছোট শিশুদের সামর্থ্যকে অবমূল্যায়ন করে। উদাহরণস্বরূপ, তিনি দেখান যে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষকেরা যদি শুধুমাত্র পাইগেটের ধাপভিত্তিক তত্ত্বে বিশ্বাস করেন, তবে তারা শিশুদের প্রতীকের জ্ঞান, গণনার ক্রম ও গাণিতিক ক্রিয়ার সামর্থ্য সম্পর্কে ভুল ধারণা পোষণ করতে পারেন।<ref>Cross, C. (2009). The Early Childhood Workforce and Its Professional Development. In Mathematics learning in early childhood paths toward excellence and equity. Washington, DC: National Academies Press.</ref>
বার্গার আরও বলেন, শিশুদের পার্সেপচুয়াল শেখা (ধারণাগত শেখা) জন্মের আগেই শুরু হতে পারে।<ref>Berger, K.S. (1988). The developing person through the life span (2nd ed.). New York: Worth Publishers Ltd.</ref> যদিও একটি নির্দিষ্ট বয়স অনুযায়ী একটি শিশু নির্দিষ্ট ধাপে থাকবে, তবুও সব শিক্ষার্থী একরকম নয়। তাদের স্বতন্ত্র দক্ষতার ভিত্তিতে তারা হয়তো কোনো উচ্চতর বা নিম্নতর ধাপে অবস্থান করতে পারে।
উদাহরণস্বরূপ, গেলম্যান ও গ্যালিস্টেল দেখান যে, প্রিপারেশনাল ধাপে থাকা শিশুরাও বস্তু গণনার ক্ষেত্রে বিমূর্ত চিন্তা করতে পারে। এছাড়াও, পাইগেট শিশুদের আবেগ ও ব্যক্তিত্ব বিকাশ নিয়ে স্পষ্ট কোনো ধারণা দেননি। যদিও তিনি বুদ্ধিমত্তা ও স্মৃতিশক্তির বিকাশ মাপার কার্যকর পদ্ধতি ব্যাখ্যা করেছেন, তিনি সৃজনশীলতা ও সামাজিক যোগাযোগের গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো উপেক্ষা করেছেন।<ref>Papalia, D. E., Olds, S. W., and Feldman, R. D. (1998). Human development(7th ed.). Boston: McGraw-Hill.</ref>
ক্রিস্টিনা এর্নেলিং যুক্তি দেন যে, উন্নয়নের ধারা বোঝা সম্ভব যদি শিশুদের সঠিক পরিবেশে রাখা যায়। তার মতে, যেকোনো শেখার ধারণা বিশদ শিক্ষাতত্ত্বের উপর ভিত্তি করে হতে হবে এবং জ্ঞানীয় বিকাশ বোঝার জন্য ব্যক্তির সামাজিক ও সাংস্কৃতিক পটভূমির ভিন্নতা স্বীকৃতি দিতে হবে। অর্থাৎ, পাইগেট সংস্কৃতির প্রভাব উপেক্ষা করেছেন। কারণ তার গবেষণা ছিল পশ্চিমা দেশে, তাই তার তত্ত্ব হয়তো শুধু পশ্চিমা সমাজ ও সংস্কৃতিকে প্রতিনিধিত্ব করে।
পাইগেটের মতে, বৈজ্ঞানিক চিন্তা ও আনুষ্ঠানিক চিন্তাশক্তি নির্দিষ্ট ধাপে পৌঁছেই বিকাশ পায়। অন্যদিকে, এডওয়ার্ডস ও অন্যান্য গবেষকরা বলেন, পাইগেটের গবেষণায় নিয়ন্ত্রণ ও নমুনার সীমাবদ্ধতার কারণে তার গবেষণা অবিশ্বস্ত। তারা বলেন, অন্যান্য সংস্কৃতিতে সাধারণ ধাপের অপারেশনগুলো বেশি গুরুত্ব পেতে পারে।<ref>Edwards, L., Hopgood, J., Rosenberg, K., & Rush, K. (2000). Mental Development and Education. Retrieved April 25, 2009, from Flinders University</ref>
বার্গার পাইগেটের নির্দিষ্ট ধাপের বিপক্ষে যুক্তি দেন। তিনি মনে করেন, পাইগেট শিশুদের অভ্যন্তরীণ জ্ঞানের সন্ধানকে গুরুত্ব দিলেও, বংশগতি, সংস্কৃতি ও শিক্ষার মতো বাহ্যিক বিষয়গুলো উপেক্ষা করেছেন। তিনি বলেন, পাইগেটের জ্ঞানীয় বিকাশের ধাপগুলোকে বরং একটানা ধাপে ধাপে অগ্রগতির মতো দেখা উচিত, নির্দিষ্ট করে ভাগ না করে।<ref>Berger, K.S. (1988). The developing person through the life span (2nd ed.). New York: Worth Publishers Ltd.</ref>
পাইগেটের তত্ত্বের আরও সমালোচনা হয়েছে, কারণ তার সর্বশেষ ধাপে জ্ঞানীয় বিকাশ যথেষ্ট স্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করা হয়নি। তিনি মনে করতেন, ১১ থেকে ১৫ বছর বয়সের মধ্যে সবাই বিমূর্ত যুক্তি বিকাশে সক্ষম হয়। অন্যদিকে, প্যাপালিয়া ও অন্যান্যরা বিশ্বাস করেন, সবাই এই সময়ে আনুষ্ঠানিক চিন্তাশক্তি অর্জন করতে পারে না, এবং তাতে তারা অপরিণত নয়—বরং তাদের চিন্তাভাবনার পরিপক্বতার ধরণ ভিন্ন।<ref>Papalia, D.E., Olds, S.W., & Feldman, R.D. (1998). Human development (7th ed.). Boston: McGraw-Hill.</ref>
অতএব, জ্ঞানীয় বিকাশকে বরং একটি অনিয়মিত প্রক্রিয়া হিসেবে বিবেচনা করা উচিত, যেখানে প্রতিটি শিশু ধাপে ধাপে নিজস্ব গুণাবলি ও আচরণগত দক্ষতা অর্জন করে।<ref>Berger, K.S. (1988). The developing person through the life span (2nd ed.). New York: Worth Publishers Ltd.</ref>
=== জ্ঞানীয় ক্ষেত্র= ===
পাইগেটের পর থেকে জ্ঞানীয় তত্ত্ব ও গাণিতিক শিক্ষার মধ্যে সম্পর্ক অনেকদূর এগিয়েছে। অসংখ্য গবেষণায় দেখা গেছে, বিভিন্ন জ্ঞানীয় দক্ষতা ও গাণিতিক দক্ষতার মধ্যে সম্পর্ক রয়েছে। ১৯৭৮ সালেই গবেষকেরা মস্তিষ্ক-সম্পর্কিত আচরণ ও একাডেমিক দক্ষতার মধ্যে সম্পর্ক খুঁজে পান। রাউর্ক ও ফিনলেসন ৯-১৪ বছর বয়সী শেখার অসুবিধায় ভোগা শিশুদের নিয়ে গবেষণা করে দেখান, যেসব শিশুর অ্যারিথমেটিক দক্ষতা নেই, তাদের ডান মস্তিষ্কের গোলার অকার্যকারিতার মতো আচরণ দেখা যায়।<ref>Rourke, B. P., & Finlayson, M. A. J. (1978). Neuropsychological significance of variations in patterns of academic skills: Verbal and visual-spatial abilities. Journal of Abnormal Child Psychology, 6, 121–133.</ref>
সম্প্রতিকালে আরও সূক্ষ্ম জ্ঞানীয় দক্ষতা ও গণিতে ঘাটতির মধ্যকার সম্পর্ক চিহ্নিত হয়েছে।
২০০১ সালে হ্যানিচ, জর্ডান, কাপলান ও ডিক ২য় শ্রেণির শিক্ষার্থীদের গাণিতিক পারফরম্যান্স বিশ্লেষণ করেন।<ref>Hanich, L. B., Jordan, N. C., Kaplan, D., & Dick, J. (2001) Performance across different areas of mathematical cognition in children with learning disabilities. Journal of Educational Psychology, 93, 615–626.</ref>
তারা শিক্ষার্থীদের চারটি দলে ভাগ করেন: সাধারণভাবে সফল শিক্ষার্থী, শুধুমাত্র গণিতে দুর্বল, শুধুমাত্র পড়ায় দুর্বল, এবং উভয় বিষয়ে দুর্বল। প্রত্যেককে সাতটি গাণিতিক পরীক্ষায় অংশ নিতে বলা হয়:
ক) নির্দিষ্ট গণনা খ) গল্পভিত্তিক সমস্যা গ) আনুমানিক গণনা ঘ) স্থানীয় মান ঙ) গণনার নীতি চ) সংখ্যা স্মরণ ছ) লিখিত গণনা।
তারা দেখেন, যারা গণনা ও পড়া উভয় ক্ষেত্রেই দুর্বল, তারা গল্প সমস্যা ও প্রচলিত গণনায় দুর্বল। তবে যারা শুধু গণিতে দুর্বল, তারা শুধু প্রচলিত গণনায় দুর্বলতা দেখায়। এ থেকে গবেষকেরা সিদ্ধান্তে আসেন, গণিতে একাধিক জ্ঞানীয় ক্ষেত্র রয়েছে এবং প্রতিটি ক্ষেত্র মস্তিষ্কের ভিন্ন প্রক্রিয়া ব্যবহার করে।
ফুচস, ফুচস, স্টুয়েবিং, ফ্লেচার, হ্যামলেট ও ল্যাম্বার্ট (২০০৮) লক্ষ্য করেন, প্রচলিত গণনার সফলতা নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ কিছু পূর্বাভাসদাতা হচ্ছে: ক) কর্মরত স্মৃতি খ) দৃশ্য-স্থানিক কর্মরত স্মৃতি গ) মনোযোগ রেটিং ঘ) ধ্বনিতাত্ত্বিক প্রক্রিয়াকরণ ঙ) শব্দভাণ্ডারের জ্ঞান<ref>Fuchs, L. S., Fuchs, D., Stuebing, K., Fletcher, J.M., Hamlett, C. L. , & Lambert, W. (2008). Problem solving and computational skill: Are they shared or distinct aspects of mathematical cognition? Journal of Educational Psychology 100 (1), 30</ref>
তারা এক দীর্ঘমেয়াদি, বৃহৎ পরিসরের গবেষণায় দেখেন, গণনা ও সমস্যার সমাধান—এই দুইটি গণিতের আলাদা ক্ষেত্র হতে পারে। তারা শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করেন: গণনায় দক্ষতা, শব্দ-সমস্যা সমাধান, ধ্বনি প্রক্রিয়া, অ-মৌখিক সমস্যা সমাধান, কর্মরত স্মৃতি, মনোযোগী আচরণ, প্রক্রিয়ার গতি, এবং পাঠ দক্ষতা ইত্যাদিতে। তারা দেখতে পান, মনোযোগী আচরণ ও প্রক্রিয়ার গতি গণনার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখে।
এছাড়াও, তারা লক্ষ্য করেন, কর্মরত স্মৃতি, স্বল্পমেয়াদি স্মৃতি, অ-মৌখিক সমস্যা সমাধান (যেমন দৃশ্যের মাধ্যমে প্যাটার্ন সম্পূর্ণ করা), ধারণা গঠন, এবং ভাষা দক্ষতা (যার মধ্যে পড়াও অন্তর্ভুক্ত) সমস্যা সমাধানের পূর্বাভাসদাতা। ভাষা দক্ষতার ঘাটতি সমস্যার সমাধানে দুর্বল শিক্ষার্থীদের মধ্যে পার্থক্যকারী একটি উপাদান।
==== প্রত্যেক জ্ঞানীয় গণিত ক্ষেত্রের জন্য মস্তিষ্কের প্রক্রিয়া ====
{| class="wikitable"
!গণনার জ্ঞানীয় দক্ষতা
!সমস্যা সমাধানের জ্ঞানীয় দক্ষতা
|-
|গণনার সফলতার পূর্বাভাসদাতা:
|সমস্যা সমাধানের সফলতার পূর্বাভাসদাতা:
|-
|• কর্মরত স্মৃতি
# শ্রবণক্ষম কর্মরত স্মৃতি
# দৃশ্য-স্থানিক কর্মরত স্মৃতি
• মনোযোগ রেটিং • প্রক্রিয়ার গতি • ভাষা দক্ষতা
# ধ্বনিতাত্ত্বিক প্রক্রিয়াকরণ (ধ্বনি শনাক্ত ও পার্থক্য করতে পারা)
# শব্দভাণ্ডার জ্ঞান
|• কর্মরত স্মৃতি
# শ্রবণক্ষম কর্মরত স্মৃতি
• স্বল্পমেয়াদি স্মৃতি • অ-মৌখিক সমস্যা সমাধান (দৃশ্যমান প্যাটার্ন সম্পূর্ণ করার দক্ষতা) • ধারণা গঠন • ভাষা দক্ষতা
# প্রথম ভাষা, সাংস্কৃতিক পার্থক্য
# ধ্বনি, শব্দভাণ্ডার
|}
=== গণিত শেখার ক্ষেত্রে কার্যকর স্মৃতির গুরুত্ব ===
'''কার্যকর স্মৃতি''' হলো একটি প্রক্রিয়া যা অস্থায়ীভাবে নতুন বা পূর্বে সঞ্চিত তথ্য ধারণ করে, যা বর্তমান কোনো কাজ সম্পন্ন করার জন্য ব্যবহৃত হয়। এর ধারণক্ষমতা সীমিত। কার্যকর স্মৃতির দুটি ধরণ রয়েছে: শ্রাব্য (auditory) স্মৃতি ও দৃশ্য-স্থানিক (visual-spatial) স্মৃতি। গণিতের গাণিতিক সমস্যার সমাধানের ক্ষেত্রে দৃশ্য-স্থানিক স্মৃতি গুরুত্বপূর্ণ বলে প্রমাণিত হয়েছে। অপরদিকে, শ্রাব্য স্মৃতি সব ধরনের গাণিতিক ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। ব্যক্তিভেদে কার্যকর স্মৃতির ধারণক্ষমতার পার্থক্য হতে পারে তথ্য প্রক্রিয়াকরণের গতি, ব্যক্তির জ্ঞান বা অপ্রাসঙ্গিক তথ্য উপেক্ষা করার দক্ষতার কারণে।<ref>Swanson, H. L., & Beebe-Frankenberger, M. (2004)...</ref> পরিকল্পনা, সংগঠন এবং নমনীয় চিন্তার মতো নির্বাহী কার্যক্রমগুলো কার্যকর স্মৃতিকে প্রভাবিত করতে পারে।<ref>Swanson, H. L. (2003)...</ref>
অন্যদিকে, '''স্বল্পমেয়াদী স্মৃতি''' দায়ী শুধুমাত্র অল্প সময়ের জন্য তথ্য ধারণ করার জন্য, যেগুলো ব্যবহার করতে হবে কিন্তু বিশ্লেষণ বা রূপান্তরের প্রয়োজন নেই। এর ধারণক্ষমতাও সীমিত এবং এটি কয়েক সেকেন্ডের মতোই স্থায়ী হতে পারে। যেমন, একটি টেলিফোন নম্বর আমরা কয়েক সেকেন্ড মনে রাখি শুধু তা ডায়াল করার জন্য।
২০০৪ সালে সোয়ানসন এবং বিবে-ফ্রাঙ্কেনবার্গারর একটি গবেষণায় উপসংহারে পৌঁছেছেন যে, কার্যকর স্মৃতি সমস্যার সমাধানকালে তথ্য একীভূতকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাদের মতে, কার্যকর স্মৃতি গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি "(ক) সম্প্রতি প্রক্রিয়াকৃত তথ্যকে নতুন ইনপুটের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করে এবং (খ) সামগ্রিকভাবে সমস্যার একটি উপস্থাপন গঠনের জন্য তথ্যের সারাংশ সংরক্ষণ করে।"<ref>Swanson, H. L., & Beebe-Frankenberger, M. (2004)...</ref>
এইচ লি সোয়ানসনের সাম্প্রতিক একটি গবেষণায় দেখা গেছে, কার্যকর স্মৃতির ধারণক্ষমতা সমস্যা সমাধানে কৌশলগত হস্তক্ষেপের প্রভাবকে নিয়ন্ত্রণ করে।<ref>Swanson, H. L. (August 4,2015)...</ref> লেখক একটি হস্তক্ষেপমূলক গবেষণা পরিচালনা করেন, যেখানে কার্যকর স্মৃতির ভূমিকা এবং কৌশল শেখানোর ফলে শব্দভিত্তিক সমস্যা সমাধানে সঠিকতা কেমন হয়, তা যাচাই করা হয়।
গবেষণায় সমস্ত শিশুদের শ্রাব্য ও দৃশ্য-স্থানিক কার্যকর স্মৃতির মাপ নেওয়া হয়। এরপর গণিতে সমস্যাযুক্ত এবং অপ্রতিবন্ধিত শিশুদের তিনটি গ্রুপে ভাগ করে র্যান্ডমাইজড কন্ট্রোল ট্রায়াল করা হয়। ১ম দলকে শব্দভিত্তিক কৌশল শেখানো হয়, ২য় দলকে দৃশ্য-স্থানিক কৌশল, এবং ৩য় দলকে উভয় কৌশলের সংমিশ্রণ শেখানো হয়। প্রতিটি দলকে এমন পাঠদান দেওয়া হয় যাতে শব্দ সমস্যা ক্রমাগত অপ্রাসঙ্গিক তথ্যে পরিপূর্ণ হতে থাকে। এই কৌশলের উদ্দেশ্য ছিল শিশুদের প্রাসঙ্গিক তথ্যের প্রতি মনোযোগী হতে শেখানো। পূর্ববর্তী অনেক গবেষণায় দেখা গেছে যে, প্রাসঙ্গিক ও অপ্রাসঙ্গিক তথ্য আলাদা করতে শেখা গণিত সমস্যার সঠিকতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ।
গবেষণার ফলাফল দেখায় যে, কৌশল শেখানো সমস্যা সমাধানে সাহায্য করে। তবে এটি মনে রাখা জরুরি যে, ব্যক্তিভেদে কার্যকর স্মৃতির ক্ষমতা কৌশল শেখানোর প্রভাবকে নিয়ন্ত্রণ করে। কম কার্যকর স্মৃতির শিশুরা তেমন উপকার পায়নি। বরং উচ্চ কার্যকর স্মৃতির শিশুরাই—যাঁদের গণিতে প্রতিবন্ধকতা থাকুক বা না থাকুক—এই কৌশল থেকে বেশি উপকার পেয়েছে। তবে, দৃশ্যগত কৌশল ব্যবহৃত হলে সব ধরনের গণিত প্রতিবন্ধী শিশুরাই উপকার পেয়েছে। কিন্তু যাঁদের কার্যকর স্মৃতি দুর্বল, তাঁদের জন্য শব্দ ও দৃশ্য উভয় কৌশলের সংমিশ্রণ প্রয়োজন। সবশেষে, গবেষণার ফলাফলে বলা হয়েছে যে, কার্যকর স্মৃতির উপর ভিত্তি করে মনোযোগ নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কিত প্রক্রিয়াগুলোর প্রশিক্ষণ ভবিষ্যতে কার্যকর স্মৃতির দক্ষতা উন্নত করতে পারে।
এই গবেষণার তাৎপর্য হলো, গণিতে প্রতিবন্ধকতাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের কার্যকর স্মৃতির ক্ষমতা যাচাই করে তার ভিত্তিতে উপযুক্ত শিক্ষণ কৌশল নির্ধারণ করা উচিত।
== গণিত শেখা ও শেখানোর ওপর প্রভাব ফেলা উপাদান ==
=== ব্যক্তিভেদে পার্থক্য ===
প্রত্যেক শিক্ষার্থীর আলাদা দক্ষতা, পূর্বজ্ঞান, সংস্কৃতি এবং আগ্রহ থাকে। এই বিষয়গুলো গণিত শেখা ও শেখানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ কারণ পাঠদানের কৌশলগুলো শিক্ষার্থীদের অনুযায়ী পরিবর্তন করতে হয়।
==== দক্ষতার পার্থক্য ====
সব শিক্ষার্থীর নিজস্ব শক্তি ও দুর্বলতা থাকে। কেউ কোনো নির্দিষ্ট গাণিতিক ক্ষেত্রে ভালো হলেও, অন্য ক্ষেত্রে দুর্বল হতে পারে। শিক্ষকের উচিত শিক্ষার্থীদের দক্ষতা সম্পর্কে জানা, যাতে তাদের শক্তিকে কাজে লাগিয়ে দুর্বলতাকে উন্নত করা যায়। যদি শিক্ষক শিক্ষার্থীদের দক্ষতা ও দুর্বলতা না জানেন, তবে ভুলভাবে চ্যালেঞ্জ তৈরি হতে পারে, যেটা শিক্ষার্থীর আত্মবিশ্বাস কমিয়ে দিতে পারে এবং ব্যর্থতা থেকে "শিক্ষিত অসহায়ত্ব" তৈরি করতে পারে। সঠিক দক্ষতা জানা থাকলে নতুন গাণিতিক জ্ঞান অর্জনে শিক্ষার্থীদের অসুবিধা হবে না।
উদাহরণস্বরূপ, শব্দ সমস্যা সমাধানের জন্য প্রয়োজন মানসিক উপস্থাপনা ও সাধারণ গাণিতিক রূপান্তর। ফলে, যারা গাণিতিক সমীকরণ গঠন করতে জানে না, তারা এই সমস্যা সমাধানে ব্যর্থ হবে।<ref>Wong, B., Graham, L., Hoskyn, M., & Berman, J. (Eds.). (2008)...</ref> শিক্ষকের উচিত শিক্ষার্থীদের প্রাক-দক্ষতার ওপর ভিত্তি করে পাঠদান কৌশল নির্ধারণ করা, কারণ এই দক্ষতাগুলো সমস্যার সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। শিক্ষার্থীরা যত বেশি ধারণাগত ও প্রক্রিয়াগত দক্ষতা অর্জন করবে, ততই তারা গণিত শেখায় দক্ষ হয়ে উঠবে।<ref>Bruning, R., Schraw, G., & Norby, M. (2011)...</ref>
বর্তমান হাইস্কুলে বিভিন্ন স্তরের গণিত কোর্স থাকে—শুরুর, মূল এবং উন্নত স্তর। শিক্ষার্থীদের নিজস্ব দক্ষতার ভিত্তিতে বিভাগ করা হয় বা তারা নিজেরা স্তর বেছে নিতে পারে। শিক্ষককে উচিত শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা যে তারা সেই স্তরের উপযোগী কিনা। খুব কঠিন হলে শিক্ষার্থী ক্লান্ত হয়ে পড়বে, আবার খুব সহজ হলে বিরক্ত হবে। সঠিক স্তর নির্ধারণের জন্য দক্ষতা জানা আবশ্যক।
==== পূর্বজ্ঞানগত পার্থক্য ====
শিক্ষার্থীদের গাণিতিক জ্ঞান তাদের সামাজিক অভিজ্ঞতা থেকে আসে। বাস্তব জীবনের অভিজ্ঞতা যেমন বাজারে কেনাকাটা করার মাধ্যমে টাকা-পয়সা মেলানো শেখা, গাণিতিক প্রতীক কীভাবে ব্যবহার হয়, সেটা বুঝতে সাহায্য করে। এই বাস্তব জ্ঞান ব্যবহার করে যদি গাণিতিক ধারণা শেখানো হয়, তাহলে শিক্ষার্থীরা সহজে তা বুঝতে পারে।<ref>Wong, B., Graham, L., Hoskyn, M., & Berman, J. (Eds.). (2008)...</ref> বাস্তব পরিস্থিতির সঙ্গে মিল থাকলে শিক্ষার্থীরা গণিত শেখায় বেশি আগ্রহী হয়, কারণ এটি তাদের কাছে অর্থবহ ও প্রাসঙ্গিক মনে হয়। উদাহরণস্বরূপ, পাঠ্যবইয়ের গণিত অনেক শিক্ষার্থীর কাছে বিরক্তিকর মনে হতে পারে, কিন্তু যদি তা ব্যাংকে সুদের হিসাব বা দৈনন্দিন খরচ হিসাবের মতো জীবনের সঙ্গে মেলানো হয়, তাহলে তা সহজ ও আকর্ষণীয় মনে হয়।
গুরুত্বপূর্ণ গণিত সমস্যার জন্য শুধু গণিত নয়, পদার্থবিদ্যা বা রসায়নের মতো বিষয়ের জ্ঞানও প্রয়োজন হতে পারে।<ref>Bruning, R., Schraw, G., & Norby, M. (2011)...</ref> শব্দ সমস্যার ক্ষেত্রে পাঠ্যাংশ বুঝতে ভাষাগত দক্ষতাও প্রয়োজন, যা পূর্বজ্ঞান থেকে আসে। বিশ্ববিদ্যালয় স্তরের অনেক গণিত কোর্সে পূর্বশর্ত কোর্স থাকে, কারণ উন্নত গণিত শেখার জন্য প্রাথমিক ধারণা থাকা আবশ্যক।
==== আগ্রহের পার্থক্য ====
সবার আগ্রহ আলাদা। কেউ গণিত পছন্দ করে কারণ ছোটবেলা থেকেই তারা এই বিষয়ে শক্তিশালী ছিল, আবার কেউ ঘৃণা করে কারণ বারবার ব্যর্থ হয়েছে। আগ্রহ থাকলে অভ্যন্তরীণ মোটিভেশন তৈরি হয় এবং শিক্ষার্থী নিজের ইচ্ছায় গণিত শেখে।<ref>Bruning, R., Schraw, G., & Norby, M. (2011)...</ref> এতে শিক্ষার্থীরা কাজের প্রতি মনোযোগী হয় এবং সমাধানে আন্তরিকতা দেখায়। তাদের আগ্রহ নিজের সামর্থ্য, আত্মবিশ্বাস এবং অর্জনের সঙ্গে জড়িত।<ref>Upadyaya, K., & Jacquelynne, S. E. (2014). How do Teachers’ Beliefs predict Children’s Interests in Math from Kindergarten to Sixth Grade? ''Merrill-Palmer Quarterly, 60''(4). Retrieved from http://web.b.ebscohost.com.proxy.lib.sfu.ca/ehost/pdfviewer/pdfviewer?sid=aaa92fa2-22f8-4cd7-9d94-49896f602e89%40sessionmgr120&vid=0&hid=109</ref>
তাই, শিক্ষার্থীদের একাডেমিক সাফল্য বাড়ানোর জন্য তাদের মধ্যে গণিতের প্রতি আগ্রহ তৈরি করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রকৃতপক্ষে, পরিবারের সদস্য, সহপাঠী এবং শিক্ষকসহ অনেক উপায়ে গণিতের প্রতি আগ্রহ বাড়ানো যায়।<ref>Frenzel, A.C., Goets T., Pekrun R., & Watt, H.M.G. (2010). Development of Mathematics Interest in Adolescence: Influences of Gender, Family and School Context. ''Journal of Research on Adolescence, 20''(2), 507-537. doi:10.1111/j.1532-7795.2010.00645.x</ref>
পরিবারের সদস্যরা ঘরে বসেই শিক্ষার্থীদের গণিতে সহায়তা ও উৎসাহ দিতে পারেন, যা গণিতের প্রতি তাদের মূল্যবোধ বাড়ায়। শিক্ষার্থীরা সাধারণত সামাজিক তুলনা করতে ভালোবাসে এবং তারা সহপাঠীদের অনুসরণ করতে চায়। তাই সহপাঠীদের প্রভাব শিক্ষার্থীদের ওপর বড় ভূমিকা রাখে। যখন শিক্ষার্থীরা দেখে তাদের সহপাঠীরা সুদোকু বা ধাঁধার মতো কোনো গণিতের সমস্যা উপভোগ করছে, তখন তারাও সমাধানে আগ্রহী হয়ে ওঠে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণভাবে, শিক্ষকরা শ্রেণিকক্ষে আনন্দদায়ক ও ইন্টারঅ্যাকটিভ গেমের আয়োজন করতে পারেন এবং শেখানোর সময় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে পারেন।<ref>Frenzel, A.C., Goets T., Pekrun R., & Watt, H.M.G. (2010). Development of Mathematics Interest in Adolescence: Influences of Gender, Family and School Context. ''Journal of Research on Adolescence, 20''(2), 507-537. doi:10.1111/j.1532-7795.2010.00645.x</ref> এটি এমন একটি বিষয় শেখার আগ্রহ তৈরি করবে, যা আগে শিক্ষার্থীরা উপভোগ করতো না। ফলে, শিক্ষকদের উচিত শিক্ষার্থীদের শেখার জন্য আনন্দদায়ক পরিবেশ তৈরি করা যাতে গণিতের প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধি পায়। যদি শিক্ষার্থীরা গণিতকে ঘৃণা করে, তবে তাদের শেখানো অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়ে। তারা তখন কেবল বাধ্য হয়ে পড়ে, আগ্রহ নিয়ে নয়।
==== সাংস্কৃতিক পার্থক্য ====
বিভিন্ন সাংস্কৃতিক পটভূমি থেকে আসা শিক্ষার্থীদের একাডেমিক সাফল্যের স্তর ও লক্ষ্য ভিন্ন হয়ে থাকে।<ref>Tsao, Y-L. (2004). A Comparison of American and Taiwanese Students: Their Math Perception. ''Journal of Instructional Psychology, 31''(3). Retrieved from http://web.b.ebscohost.com.proxy.lib.sfu.ca/ehost/pdfviewer/pdfviewer?sid=97c91599-4222-4cc8-8717-703e6b774b06%40sessionmgr110&vid=19&hid=109</ref> তদুপরি, তাদের সংস্কৃতির ওপর ভিত্তি করে গণিতের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি ভিন্ন হতে পারে। যখন কোনো সংস্কৃতি কোনো বিষয়ে যেমন গণিতে বিশেষ গুরুত্ব দেয়, তখন সেই সংস্কৃতির শিশুদের ছোটবেলা থেকেই স্কুল ও বাড়িতে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। ফলে, এদের গণিতের দক্ষতা তুলনামূলকভাবে বেশি হয়। যারা নিয়মিত গণিত চর্চা করে, তাদের অটোমেটিসিটি (স্বয়ংক্রিয়ভাবে সমাধান করার ক্ষমতা) বেশি হয় কারণ তারা বিভিন্ন গণিত সমস্যার যথেষ্ট অনুশীলন করে। তারা উপযুক্ত কৌশল বেছে নিয়ে দ্রুত সমস্যার সমাধান করতে পারে।<ref>Imbo, I., & LeFevre, Jo-Anne. (2009). Cultural differences in Complex Addition: Efficient Chinese versus Adaptive Belgians and Canadians. ''Journal of Experimental Psychology: Learning, Memory, and Cognition, 35''(6),1465-1476. doi:10.1037/a0017022</ref> অন্যদিকে, যদি কোনো সংস্কৃতি গণিতকে গুরুত্ব না দেয়, তবে সেই সংস্কৃতির শিশুরা কঠোরভাবে শেখে না এবং তাদের দক্ষতার স্তরও কম হয়। কোনও বিষয়ে ভালো করতে হলে স্কুলের পাশাপাশি বাড়িতেও চর্চা করা প্রয়োজন। যারা শুধুমাত্র স্কুলেই গণিত শেখে এবং বাড়িতে সক্রিয়ভাবে চর্চা করে না, তাদের অনুশীলন পর্যাপ্ত নয়। সেইসঙ্গে, এমন সংস্কৃতি যেখানে উচ্চ মান, পরিশ্রম, এবং ইতিবাচক মনোভাবকে মূল্য দেওয়া হয়, সেগুলোর শিক্ষার্থীদের একাডেমিক সাফল্যের সম্ভাবনা বেশি থাকে।<ref>Imbo, I., & LeFevre, Jo-Anne. (2009). Cultural differences in Complex Addition: Efficient Chinese versus Adaptive Belgians and Canadians. ''Journal of Experimental Psychology: Learning, Memory, and Cognition, 35''(6),1465-1476. doi:10.1037/a0017022</ref>
বিভিন্ন সংস্কৃতির ভাষাও ভিন্ন। এর অর্থ, তারা গণিত সমস্যা প্রকাশের ধরনেও পার্থক্য থাকতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে, চীনা সংখ্যার ভাষাগত কাঠামো (যেমন ১৫ মানে "দশ-পাঁচ") ইংরেজির তুলনায় শেখা সহজ। ইংরেজিতে যেমন 12 মানে "twelve" এবং -teen শব্দগুলোর মধ্যে ধারাবাহিকতা থাকে না।<ref>Imbo, I., & LeFevre, Jo-Anne. (2009). Cultural differences in Complex Addition: Efficient Chinese versus Adaptive Belgians and Canadians. ''Journal of Experimental Psychology: Learning, Memory, and Cognition, 35''(6),1465-1476. doi:10.1037/a0017022</ref> চীনা সংখ্যা উচ্চারণ করা ইংরেজির তুলনায় দ্রুত হয়, যা শিক্ষার্থীদের গণিত দক্ষতাকে প্রভাবিত করে। ফলে, চীনা ভাষায় সংখ্যাগুলো স্বল্প-মেয়াদী স্মৃতিতে দীর্ঘ সময় ধরে রাখা যায়, বিশেষ করে বহু-অঙ্কের জটিল সমস্যায়।<ref>Imbo, I., & LeFevre, Jo-Anne. (2009). Cultural differences in Complex Addition: Efficient Chinese versus Adaptive Belgians and Canadians. ''Journal of Experimental Psychology: Learning, Memory, and Cognition, 35''(6),1465-1476. doi:10.1037/a0017022</ref> তাই পাঠদানের কৌশল পরিকল্পনার সময় শিক্ষার্থীদের সাংস্কৃতিক পার্থক্য বিবেচনায় নেওয়া উচিত, কারণ তা গণিত সমস্যার প্রতি তাদের দৃষ্টিভঙ্গি প্রভাবিত করতে পারে।
=== গণিতে আত্ম-দক্ষতা ===
গণিতে শিক্ষার্থীদের আত্ম-দক্ষতা বলতে বোঝায় তারা নিজের সম্পর্কে কতটা বিশ্বাস রাখে যে তারা গণিতের প্রশ্ন সমাধান করতে পারবে। যারা বেশি আত্মবিশ্বাসী তারা গণিত সংশ্লিষ্ট কাজে আরও সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে এবং তাদের একাডেমিক সাফল্যও বেশি হয়। অন্যদিকে, যারা আত্মবিশ্বাস কম রাখে তারা গণিত সমস্যা সমাধানে বেশি দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয় এবং তাদের পারফরম্যান্স কম হয়। তাই, গণিতে আত্ম-দক্ষতা সরাসরি শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ ও সাফল্যের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত।
==== গণিতে আত্ম-দক্ষতার প্রভাব ====
আত্ম-দক্ষতা শিক্ষার্থীদের চিন্তা, বোঝাপড়া এবং শেখার অনুভূতিতে প্রভাব ফেলে। যারা নিজেদের দক্ষ মনে করে, তারা গণিতে ভালো করার ক্ষমতা আছে বলে বিশ্বাস করে।<ref>Schunk, D. H., & Zimmerman, B.J. (2006). Competence and control beliefs: Distinguishing the means and ends. In P.A. Alexander & P.H. Winne (Eds.), Handbook of educational psychology (2nd ed., pp.349-367). Yahweh, NJ: Erlbaum.</ref> এই বিশ্বাসের কারণে তারা আরও উৎসাহী হয়ে পড়ে এবং বেশি পড়াশোনা করে। ফলে, তারা আত্ম-সার্থকতার চক্রে পড়ে, অর্থাৎ তাদের নিজস্ব বিশ্বাস বাস্তব হয়ে ওঠে। বিপরীতে, যারা নিজেকে অদক্ষ মনে করে, তারা ভাবে যতই চেষ্টা করুক, গণিতে সফল হতে পারবে না।<ref>Schunk, D. H., & Zimmerman, B.J. (2006). Competence and control beliefs: Distinguishing the means and ends. In P.A. Alexander & P.H. Winne (Eds.), Handbook of educational psychology (2nd ed., pp.349-367). Yahweh, NJ: Erlbaum.</ref> এ কারণে তারা গণিত চর্চায় অনুপ্রাণিত হয় না এবং কয়েকবার চেষ্টা করেই হাল ছেড়ে দেয়। এতে তাদের "আমি পারি না" বিশ্বাস আরও দৃঢ় হয় এবং সেই অনুযায়ী তারা কাজ করতে থাকে।
==== শিক্ষার্থীদের আত্ম-দক্ষতা মূল্যায়ন ====
শিক্ষার্থীরা গণিতের কোন বিষয় শিখতে আত্মবিশ্বাসী কিনা তা মূল্যায়ন করা জরুরি, কারণ এটি তাদের পারফরম্যান্সকে প্রভাবিত করতে পারে। আত্ম-দক্ষতা মূল্যায়নের একটি উপায় হলো, প্রথম পুরুষে কিছু বিবৃতি তৈরি করা এবং শিক্ষার্থীদেরকে প্রত্যেকটি বিবৃতির জন্য ০ থেকে ১০০ স্কেলে রেট করতে বলা।<ref>Bandura, A. (1997). Self-efficacy: The exercise of control.New York, NY:Freeman.</ref> প্রথমে শিক্ষককে নির্দিষ্ট একটি টপিক বেছে নিতে হবে, যেমন "পৃষ্ঠতলের ক্ষেত্রফল নির্ধারণ"। এরপর সেই বিষয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য বিবৃতিগুলো তৈরি করতে হবে এবং শিক্ষার্থীরা সেগুলোর সত্যতা রেট করবে।
{| class="wikitable"
!রেট (০-১০০)
!বিবৃতি
|-
|৮০
|আমি জানি, প্যারালেলোগ্রামের পৃষ্ঠতলের ক্ষেত্রফল নির্ধারণে কী তথ্য লাগবে।
|-
|১০০
|আমি দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ দেওয়া থাকলে একটি আয়তক্ষেত্রের পৃষ্ঠতলের ক্ষেত্রফল নির্ধারণ করতে পারি।
|-
|৬০
|আমি ট্র্যাপেজিয়ামের ক্ষেত্রফলের সমীকরণ লিখতে পারি।
|-
|৫০
|আমি আমার সহপাঠীকে বোঝাতে পারি কেন ত্রিভুজের ক্ষেত্রফল bxh ÷2 অর্থাৎ, (ভূমি x উচ্চতা) / ২
|-
|৯০
|আমি ৪ সেন্টিমিটার দৈর্ঘ্যের একটি বর্গক্ষেত্রের ক্ষেত্রফল নির্ধারণ করতে পারি।
|}
এই স্কোরগুলো যোগ করে শিক্ষকেরা শিক্ষার্থীর আত্ম-দক্ষতার একটি সামগ্রিক চিত্র পেতে পারেন। উপরিউক্ত উদাহরণে, মোট স্কোর হবে ৮০+১০০+৬০+৫০+৯০। শিক্ষক চাইলে এই আত্ম-দক্ষতার তুলনা শিক্ষার্থীর গণিত বিষয়ে সামগ্রিক আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে করতে পারেন। আত্ম-দক্ষতা শিক্ষার্থীদের শেখার অনুপ্রেরণা ও আচরণকে প্রভাবিত করতে পারে, তাই শিক্ষকদের উচিত সেই অনুযায়ী পাঠ পরিকল্পনা তৈরি করা।
==== শিক্ষার্থীদের আত্ম-দক্ষতার বিকাশ ====
বান্দুরা আত্ম-দক্ষতা বিকাশে চারটি প্রধান উৎস চিহ্নিত করেছেন।<ref>Bandura, A. (1986). Social foundations of thought and action: A social cognitive theory. Englewood Cliffs, NJ, US: Prentice-Hall, Inc.</ref> প্রথমটি হলো শিক্ষার্থীদের সাফল্যের অভিজ্ঞতা।<ref>Bandura, A. (1986). Social foundations of thought and action: A social cognitive theory. Englewood Cliffs, NJ, US: Prentice-Hall, Inc.</ref> যেমন, যদি শিক্ষার্থী কোনো গণিত পরীক্ষায় ভালো ফল করে, তার সেই বিষয়ে আত্মবিশ্বাস বাড়ে। দ্বিতীয়টি হলো বিভিন্ন অভিজ্ঞতা।<ref>Bandura, A. (1986). Social foundations of thought and action: A social cognitive theory. Englewood Cliffs, NJ, US: Prentice-Hall, Inc.</ref> শিক্ষার্থীরা যখন তাদের সমমানের সহপাঠীদের কাজ করতে দেখে, তখন তারা নিজেরও পারবে বলে বিশ্বাস করতে শুরু করে। এমনকি গণিতবিদদের নিয়ে তৈরি ডকুমেন্টারি দেখা পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের আত্ম-দক্ষতা বাড়াতে পারে।<ref>Hekimoglu, S., & Kittrell, E. (2010). Challenging students' beliefs about mathematics: The use of documentary to alter perceptions of efficacy. PRIMUS: Problems, Resources, And Issues In Mathematics Undergraduate Studies, 20(4), 299-331. doi:10.1080/10511970802293956</ref>
তৃতীয় প্রভাবটি হলো সামাজিক প্রভাব।<ref>Bandura, A. (1986). Social foundations of thought and action: A social cognitive theory. Englewood Cliffs, NJ, US: Prentice-Hall, Inc.</ref> এটি শিক্ষার্থীদের ঘনিষ্ঠ মানুষদের (যেমন অভিভাবক, সহপাঠী বা শিক্ষক) কাছ থেকে আসা ইতিবাচক বক্তব্য হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, শিক্ষক যদি বলেন “তুমি বীজগণিতের সমস্যাগুলো এখন আগের থেকে ভালোভাবে সমাধান করতে পারছো,” তাহলে এটি শিক্ষার্থীদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে তোলে।
চতুর্থ প্রভাবটি হলো শিক্ষার্থীদের মানসিক অবস্থা।<ref>Bandura, A. (1986). Social foundations of thought and action: A social cognitive theory. Englewood Cliffs, NJ, US: Prentice-Hall, Inc.</ref> এটি শিক্ষার্থীদের কোনো পরিস্থিতির প্রতি আবেগগত প্রতিক্রিয়াকে বোঝায়। উদাহরণস্বরূপ, একজন শিক্ষার্থী মনে করতে পারে যে গণিত পরীক্ষায় ব্যর্থ হওয়ার কারণ তার অযোগ্যতা, অথচ প্রকৃতপক্ষে সেটা ছিল উদ্বেগের ফল। এই ক্ষেত্রে, শিক্ষার্থী তার ক্ষমতা ভুলভাবে মূল্যায়ন করে এবং গণিত বিষয়ে আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলে। আবার কোনো শিক্ষার্থী পরীক্ষায় ভালো করলেও সেটিকে নিজের দক্ষতা নয়, বরং ভাগ্যের কারণে হয়েছে বলে মনে করতে পারে। এর ফলে, সে আত্মবিশ্বাস গঠনের একটি সুযোগ হারিয়ে ফেলে। সুতরাং, ইতিবাচক বা নেতিবাচক যেকোনো অভিজ্ঞতার প্রতি শিক্ষার্থীর দৃষ্টিভঙ্গি তার আত্মদক্ষতা গঠনে প্রভাব ফেলে। এই ক্ষেত্রে আত্মদক্ষতা বাড়ানোর উপায় হলো শিক্ষার্থীদের তাদের প্রকৃত দক্ষতা চেনাতে সহায়তা করা এবং তাদের দক্ষতার প্রতি ইতিবাচক অনুভূতি তৈরি করা।
উশের একটি গবেষণা পরিচালনা করেছেন, যেখানে তিনি শিক্ষার্থী, অভিভাবক এবং শিক্ষকদের সাক্ষাৎকার নিয়ে মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের গণিত বিষয়ক আত্মদক্ষতার চারটি উৎস যাচাই করেন।<ref>Usher, E. L. (2009). Sources of middle school students’ self-efficacy in mathematics: A qualitative investigation. American Educational Research Journal, 46(1), 275-314. doi:10.3102/0002831208324517</ref> এই গবেষণার ফলাফল বান্দুরার ধারণার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ, যেখানে দক্ষতার অভিজ্ঞতা, পরোক্ষ অভিজ্ঞতা, সামাজিক প্রভাব ও মানসিক অবস্থা – সবই শিক্ষার্থীদের আত্মবিশ্বাস গঠনের সঙ্গে যুক্ত।
দক্ষতার অভিজ্ঞতা শিক্ষার্থীদের আত্মদক্ষতা বিকাশের সাথে দৃঢ়ভাবে সম্পর্কযুক্ত। উশের একটি কৌশল প্রস্তাব করেন যেটি গণিত শিক্ষকরা ব্যবহার করতে পারেন শিক্ষার্থীদের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে—“শিক্ষাদান এমনভাবে করা যাতে শিক্ষার্থীদের দক্ষতার অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ সর্বাধিক হয়, তা যত ছোটই হোক না কেন।”<ref>Usher, E. L. (2009). ...</ref> উদাহরণস্বরূপ, শিক্ষক অ্যালগরিদম বা বীজগণিত শেখানোর সময় সঠিকতা যাচাই করার কৌশল শেখাতে পারেন। যেমন প্রশ্ন: ১৮ ÷ ৬ =? শিক্ষক শিখাতে পারেন যে ভাগফলকে গুণ করে যদি ভাগফল × ভাজক = মূল সংখ্যা হয় (৩ × ৬ = ১৮), তবে উত্তর সঠিক। যারা এই কৌশল শিখেছে ও ব্যবহার করেছে, তারা গণিতে দক্ষতার অভিজ্ঞতা বাড়িয়েছে।<ref>Ramdass, D., & Zimmerman, B. J. (2008). ...</ref> শিক্ষার্থীদের সক্ষমতার মধ্যে থেকে চ্যালেঞ্জিং কাজ দেওয়া তাদের দক্ষতা বাড়াতে সাহায্য করে।
উশেরের গবেষণায় আরও দেখা গেছে, এই চারটি উৎসের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্কও রয়েছে। পরোক্ষ অভিজ্ঞতার ক্ষেত্রে দেখা গেছে, শিক্ষার্থীদের আত্মবিশ্বাসে অভিভাবক ও শিক্ষকের গণিত অভিজ্ঞতার প্রভাব আছে। একটি গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ হলো, এক শিক্ষার্থী তার অভিভাবকদের গণিতে ব্যর্থতাকে এভাবে ব্যাখ্যা করেছে—“আমি আলাদা হতে পারি।”<ref>Usher, E. L. (2009). ...</ref> এটি বোঝায় যে কেবল সফলতাই নয়, ব্যর্থতাও শিক্ষার্থীদের আত্মবিশ্বাসে প্রভাব ফেলতে পারে। এছাড়া, শিক্ষার্থীর মানসিক অবস্থা অন্যদের অভিজ্ঞতা কীভাবে তারা ব্যাখ্যা করে, তাতেও প্রভাব ফেলে। সামাজিক প্রভাবের ক্ষেত্রে দেখা গেছে, অভিভাবক ও শিক্ষকের বার্তা শিক্ষার্থীদের সক্ষমতা বিশ্বাসে বড় প্রভাব ফেলতে পারে। যেমন, যদি বাবা-মা বলেন গণিত একটি জন্মগত ক্ষমতা—“তোমার আছে বা নেই”—তাহলে সন্তানরা নিজেকে অক্ষম মনে করে আত্মবিশ্বাস হারাতে পারে। এই ক্ষেত্রে সামাজিক প্রভাব মানসিক অবস্থাতেও প্রভাব ফেলে।
==== শিক্ষকের আত্মদক্ষতা ====
শিক্ষকের শিক্ষাদানের আত্মদক্ষতা বলতে বোঝায় যে, তারা বিশ্বাস করেন তারা শিক্ষার্থীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনতে পারেন,<ref>Woolfolk, A. E., & Hoy, W. K. (1990). ...</ref> যেমন একাডেমিক পারফরম্যান্স, আত্মদক্ষতা, অনুপ্রেরণা, মনোভাব এবং আগ্রহ। উচ্চ আত্মদক্ষতা গঠনের জন্য শিক্ষকদের প্রয়োজন ইতিবাচক মনোভাব, বিষয়বস্তুর প্রতি গভীর জ্ঞান এবং শিক্ষণ কৌশলের জ্ঞান।
গণিত বিষয়ে শিক্ষকের মনোভাব শিক্ষার্থীদের মনোভাব ও পারফরম্যান্সে বড় প্রভাব ফেলে। একটি গবেষণায় চারটি গ্রুপ—প্রাথমিক শিক্ষক (K-4), মাধ্যমিক শিক্ষক, অন্যান্য প্রশাসনিক কর্মকর্তা, এবং বিশেষ শিক্ষা শিক্ষক—এর মধ্যে সাক্ষাৎকার ও একটি মনোভাব স্কেল পূরণের মাধ্যমে শিক্ষকদের মনোভাব বিশ্লেষণ করা হয়েছে।<ref>Kolstad, R. K., Hughes, S., & Briggs, L. D. (1994). ...</ref> এতে দেখা যায়, মাধ্যমিক শিক্ষকরা সবচেয়ে ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করেন (৬০% অত্যন্ত ইতিবাচক, ৩০% নিরপেক্ষ, ১০% অত্যন্ত নেতিবাচক), এবং প্রাথমিক শিক্ষকরা সবচেয়ে নেতিবাচক মনোভাব পোষণ করেন (৪৩% ইতিবাচক, ২৩% নিরপেক্ষ, ৩৪% নেতিবাচক)। ফলাফল নির্দেশ করে প্রাথমিক স্তরে গণিতকে তেমন গুরুত্ব দেওয়া হয় না।
নেতিবাচক মনোভাব থাকলে শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের শেখাতে সক্ষম—এই বিশ্বাসটিও হারিয়ে ফেলেন, যার সঙ্গে আত্মদক্ষতা জড়িত। শিক্ষকের শিক্ষাদান কৌশল ও বিষয়বস্তুর জ্ঞানও তাদের আত্মদক্ষতার ওপর প্রভাব ফেলে। একটি সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, গণিত বিষয়ক শিক্ষকের জ্ঞান ও আত্মদক্ষতার মধ্যে শক্তিশালী সম্পর্ক রয়েছে, যা দেখায়—যাদের বিষয়বস্তু ও কৌশলগত জ্ঞান বেশি, তারা শিক্ষাদানে বেশি আত্মবিশ্বাসী এবং শিক্ষার্থীদের শেখাতে পারার বিশ্বাস রাখেন।<ref>Fox, A. M. (2015). ...</ref>
শিক্ষকের আত্মদক্ষতা বিভিন্নভাবে শিক্ষার্থীদের শেখায় প্রভাব ফেলে। এর মধ্যে অন্যতম হলো শিক্ষার্থীর একাডেমিক সাফল্য। একটি গবেষণায় দেখা গেছে, K-12 স্তরের শিক্ষকদের আত্মদক্ষতা শিক্ষার্থীদের সাফল্যের সঙ্গে ইতিবাচকভাবে সম্পর্কযুক্ত।<ref>Chears-Young, J. B. (2015). ...</ref> এছাড়া, এটি শিক্ষার্থীদের অনুপ্রেরণা, আগ্রহ এবং শেখার কৌশলেও প্রভাব ফেলে। আত্মদক্ষ শিক্ষকরা প্রশংসা ব্যবহার করেন, সমালোচনার বদলে, এবং অধিক গ্রহণযোগ্য ও লক্ষ্যভিত্তিক হন।<ref>Kagan, D.M. (1992). ...</ref> অন্য একটি গবেষণায় দেখা গেছে, উচ্চ আত্মদক্ষতাসম্পন্ন শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের শেখার কৌশল শেখান এবং বেশি একাডেমিক সময় দেন, যা পারফরম্যান্স বাড়ায়।<ref>Ghaith, G., & Yaghi, H. (1997). ...</ref>
=== স্ব-নিয়ন্ত্রিত শেখা ===
অনেকে মনে করেন, শিক্ষার্থীদের গণিতে খারাপ ফলাফল তাদের অযোগ্যতা বা পড়াশোনার ঘাটতির কারণে হয়। কিন্তু সব ক্ষেত্রে তা সঠিক নয়। অনেক সময় খারাপ ফলাফল হয় কারণ শিক্ষার্থীরা উপযুক্ত কৌশল ব্যবহার করতে জানে না বা '''স্ব-নিয়ন্ত্রিত শেখা'''র অভাব রয়েছে।
স্ব-নিয়ন্ত্রিত শেখা হলো, শিক্ষার্থীরা তাদের শেখার সমস্ত দিক নিজেরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে—পরিকল্পনা থেকে শুরু করে পরবর্তী মূল্যায়ন পর্যন্ত।<ref>Zimmerman, B. (2000). ...</ref> এই শেখার তিনটি মূল উপাদান আছে।
প্রথমটি হলো, মেটাকগনিটিভ সচেতনতা—মানে কীভাবে শিক্ষার্থীরা লক্ষ্য স্থির করে এবং তা অর্জনের পরিকল্পনা তৈরি করে।<ref>Zimmerman, B. (2000). ...</ref>
দ্বিতীয়টি হলো, কৌশল ব্যবহার—অর্থাৎ শিক্ষার্থীরা কী কী স্ব-নিয়ন্ত্রিত কৌশল প্রয়োগ করতে পারে। দক্ষ শিক্ষার্থীরা বেশি কার্যকর কৌশল ব্যবহার করে।<ref>Zimmerman, B. J., & Martinez-Pons, M. (1990). ...</ref>
তৃতীয়টি হলো, অনুপ্রেরণা নিয়ন্ত্রণ—যেখানে শিক্ষার্থীরা লক্ষ্য স্থির করে এবং তাদের দক্ষতা ও পারফরম্যান্সে ইতিবাচক বিশ্বাস রাখে।<ref>Zimmerman, B. (2000). ...</ref>
স্ব-নিয়ন্ত্রিত শেখার দক্ষতা শিক্ষার্থীর গণিত সাফল্যে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলে। এই দক্ষতা বাড়লে, তারা ভালো কৌশল ব্যবহার করে এবং কীভাবে গণিত পড়তে হয় তা ভালোভাবে বোঝে, ফলে তাদের গণিতের ফলাফল উন্নত হয়।
==== গণিতে আত্মনিয়ন্ত্রিত শেখার প্রোগ্রাম নিয়ে একটি গবেষণা ====
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় পরিচালিত একটি গবেষণায় একটি গণিতভিত্তিক আত্মনিয়ন্ত্রিত শেখার প্রোগ্রাম গঠিত হয় এবং ফলাফল থেকে দেখা গেছে, যখন শিক্ষার্থীদের আত্মনিয়ন্ত্রিত শেখার দক্ষতা শেখানো হয়, তখন তাদের গণিতে অর্জনক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। এই গবেষণায় প্রাথমিক স্তরের গণিতে কম ফলাফলপ্রাপ্ত ৬০ জন শিক্ষার্থীকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এর মধ্যে ৩০ জনকে পরীক্ষামূলক দলে রাখা হয়, যারা এই গণিতভিত্তিক আত্মনিয়ন্ত্রিত শেখার প্রোগ্রামে অংশ নেয়।
এই প্রোগ্রামটি ৩০টি সেশনে বিভক্ত, যার লক্ষ্য শিক্ষার্থীদের আত্মনিয়ন্ত্রিত শেখার দক্ষতা বাড়ানো, তাদের মোটিভেশন নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা উন্নত করা এবং আত্মনিয়ন্ত্রণ কৌশল শেখানো। (সেশন ১-৫) প্রোগ্রামটি শুরু হয় শিক্ষার্থীদের আত্মনিয়ন্ত্রণ বিশ্বাস ব্যবস্থা গঠনের মাধ্যমে। এতে শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত দায়িত্ববোধ, আত্ম-দক্ষতা, শেখার লক্ষ্য এবং প্রচেষ্টার ভিত্তিতে কৃতিত্ব বোঝানোর মূল্য শেখানো হয় গল্প বলার মাধ্যমে এবং দলগত আলোচনায় অংশগ্রহণ করিয়ে।<ref>Camahalan, F. G. (2006). Effects of Self-Regulated Learning on Mathematics Achievement of Selected Southeast Asian Children. Journal Of Instructional Psychology, 33(3), 194-205.</ref> (সেশন ৬-১১) এরপর তাদের সামনে জিমারম্যানের প্রস্তাবিত ১৪টি আত্মনিয়ন্ত্রিত শেখার কৌশল উপস্থাপন করা হয়।<ref>Zimmerman, B. (2000). Attaining self-regulation: A social cognitive perspective. In M. Boekaerts, P. R. Pintrich, & M. Zeidner (Eds.), Handbook of self-regulation (pp.13-39). San Diego, CA: Academic Press.</ref> প্রতিটি কৌশলের ব্যবহার এবং গণিতে এর গুরুত্ব ব্যাখ্যা করা হয় এবং শিক্ষার্থীদের নিজে নিজে কৌশলগুলো চর্চা করার সুযোগ দেওয়া হয়। (সেশন ১২-৩০) শেষে, শিক্ষার্থীদের নিয়মিত গণিত পাঠে আত্মনিয়ন্ত্রিত শেখার কৌশল প্রয়োগে দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়। পাশাপাশি, শিক্ষার্থীদের নিজেদের অগ্রগতি মূল্যায়ন করতে হয় লক্ষ্য নির্ধারণ, আত্মমূল্যায়ন এবং আত্ম-প্রতিক্রিয়া ফর্ম পূরণের মাধ্যমে। প্রোগ্রামের ৩০টি সেশন শেষ করার পর শিক্ষার্থীদের একটি গণিত পরীক্ষার পাশাপাশি আত্মনিয়ন্ত্রিত শেখার দক্ষতা যাচাইয়ের পরীক্ষা নেওয়া হয়। ফলাফল থেকে দেখা যায়, যারা প্রোগ্রামে অংশ নেয় তারা উভয় পরীক্ষাতেই উল্লেখযোগ্যভাবে ভালো ফলাফল করে যাদের অংশগ্রহণ ছিল না তাদের তুলনায়।
===== গণিতে আত্মনিয়ন্ত্রিত শেখার কৌশল প্রয়োগ =====
{| class="wikitable"
!কৌশলসমূহ
!গণিতে প্রয়োগ
|-
|আত্ম-মূল্যায়ন
|সঠিক পদ্ধতিতে প্রশ্নের যথার্থ উত্তর মিলিয়ে দেখা।
|-
|সংগঠন ও রূপান্তর
|প্রশ্নকে গুছিয়ে নেয়া, যেমন গ্রাফ, সমীকরণ, চিত্র ব্যবহার করা।
|-
|লক্ষ্য নির্ধারণ ও পরিকল্পনা
|লক্ষ্য নির্ধারণ এবং তা অর্জনের পরিকল্পনা।
|-
|নোট নেয়া ও নজরদারি
|ক্লাসে নোট নেয়া এবং সমীকরণ গুছিয়ে রাখা।
|-
|পরিবেশ গঠন
|উপযুক্ত পরিবেশে অধ্যয়ন করা।
|-
|আত্ম-প্রতিক্রিয়া
|নিজের সাফল্য বা ব্যর্থতার জন্য নিজেই পুরস্কার বা শাস্তি নির্ধারণ।
|-
|অনুশীলন ও মুখস্থকরণ
|বিভিন্ন ধরনের গণিত সমস্যা সমাধানের মাধ্যমে শেখা।
|-
|তথ্য অনুসন্ধান
|অ-সামাজিক উৎস থেকে তথ্য সংগ্রহ।
|-
|সামাজিক সহায়তা চাওয়া
|বন্ধু, শিক্ষক বা অন্য প্রাপ্তবয়স্কদের সাহায্য চাওয়া।
|-
|পুনরায় রিভিউ করা
|পাঠ্যবই, নোট বা হোমওয়ার্ক পুনরায় পড়া।
|}
৩০টি সেশনে অংশ নেওয়ার পর শিক্ষার্থীদের গণিত অর্জন এবং আত্মনিয়ন্ত্রিত শেখার দক্ষতায় লক্ষণীয় উন্নতি দেখা গেছে।<ref>Camahalan, F. G. (2006). Effects of Self-Regulated Learning on Mathematics Achievement of Selected Southeast Asian Children. Journal Of Instructional Psychology, 33(3), 194-205.</ref> এটি প্রমাণ করে যে, কম অর্জনক্ষম শিক্ষার্থীদের আত্মনিয়ন্ত্রিত শেখার কৌশল শেখানো সম্ভব এবং কার্যকর। যখন তারা এই দক্ষতা অর্জন করে এবং প্রক্রিয়াভিত্তিক চিন্তায় মনোযোগ দেয়, তখন তাদের সমস্যা সমাধানের দক্ষতা বাড়ে। উন্নতির সাথে সাথে শিক্ষার্থীরা তাদের সামর্থ্য সম্পর্কে আত্মবিশ্বাসী হতে শুরু করে। নিজেদের প্রশংসা ও পুরস্কার প্রদান তাদের আরও উন্নতির দিকে ধাবিত করে। এর ফলে তাদের আত্ম-দক্ষতা এবং গণিতের প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধি পায়। এটি একটি ইতিবাচক চক্র তৈরি করে: শিক্ষার্থীরা যখন বিশ্বাস করতে শুরু করে যে তারা গণিতে সফল হতে পারে, তখন তারা আরও কঠোর পরিশ্রম করে এবং আত্মনিয়ন্ত্রিত শেখার সঠিক কৌশল প্রয়োগে সক্ষম হয়।
ঐতিহ্যগত শ্রেণিকক্ষে, গণিতকে সাধারণত একটি উত্তর-কেন্দ্রিক বিষয় হিসেবে দেখা হয়, প্রক্রিয়া-কেন্দ্রিক নয়। গতি ও নির্ভুলতার ওপর গুরুত্ব দিলে, শিক্ষার্থীরা কেবল তথ্য মুখস্থ করতে শেখে, কিন্তু গণিত বুঝে না। এছাড়া, ঐ পরিবেশে শেখার প্রবাহ শুধুমাত্র শিক্ষক থেকে শিক্ষার্থীর দিকে হয়। এর ফলে শিক্ষার্থীদের আত্মনিয়ন্ত্রিত শেখার কৌশল প্রয়োগ করা কঠিন হয়ে পড়ে, কারণ তারা যখন তাদের শেখার ওপর নিয়ন্ত্রণ পায় না, তখন তারা আত্ম-নিয়ন্ত্রণ শেখে না কিংবা স্বতঃস্ফূর্তভাবে তা প্রয়োগেও আগ্রহী হয় না।<ref>Camahalan, F. G. (2006). Effects of Self-Regulated Learning on Mathematics Achievement of Selected Southeast Asian Children. Journal Of Instructional Psychology, 33(3), 194-205.</ref> অতএব, আত্মনিয়ন্ত্রিত কৌশল প্রয়োগে শ্রেণিকক্ষের পরিবেশ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষার্থীদের কিছু নিয়ন্ত্রণ দিলে তারা শেখার সময় নিজেরাই সিদ্ধান্ত নিতে শেখে। গণিত শিক্ষকরা জ্ঞানের আদান-প্রদান এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ উৎসাহিত করা উচিত। শিক্ষার্থীরা যখন লক্ষ্য নির্ধারণ, পরিকল্পনা ও নিজেদের কাজ মূল্যায়নে অংশগ্রহণ করে, তখন তারা আত্মনিয়ন্ত্রিত শেখার কৌশল চর্চা করার সুযোগ পায় যা তাদের গণিত অর্জনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।
উচ্চ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা নিম্ন শ্রেণির শিক্ষার্থীদের তুলনায় আত্মনিয়ন্ত্রিত শেখার কৌশল ভালোভাবে প্রয়োগ করতে পারে।<ref>Camahalan, F. G. (2006). Effects of Self-Regulated Learning on Mathematics Achievement of Selected Southeast Asian Children. Journal Of Instructional Psychology, 33(3), 194-205.</ref> এর কারণ হলো, বড় শিক্ষার্থীরা আত্মনিয়ন্ত্রিত শেখার ধারণা ও কৌশলগুলো ভালোভাবে বুঝতে পারে। এছাড়া কিছু কৌশল যেমন পরিকল্পনা লেখা, শেখার উপাদান গুছিয়ে রাখা—এসবের জন্য পূর্বজ্ঞান দরকার হয়। ফলে বড়দের এসব কৌশল শেখা অপেক্ষাকৃত সহজ হয় এবং তারা গণিত অর্জনে তুলনামূলক বেশি উন্নতি করে।
== শিক্ষণ বিষয়ক প্রভাব ==
=== গণিত শেখার অক্ষমতা ===
সাম্প্রতিক গবেষণাগুলো যেগুলো জ্ঞানচর্চা, কার্যস্মৃতি এবং গণিত শেখার অক্ষমতা নিয়ে হয়েছে, সেগুলো দেখায় যে গণিতে “গণনা” এবং “সমস্যা সমাধান” দুটি আলাদা শেখার অক্ষমতা আছে। এতদিন গণিত মূল্যায়ন সাধারণ ছিল এবং এই দুই ডোমেইনের পার্থক্য বিবেচনায় নেওয়া হতো না। শিক্ষার্থী মূল্যায়নের সময় পেশাদারদের উচিত এই দুটি দক্ষতা আলাদাভাবে বিবেচনা করা। শিক্ষকদেরও উচিত শিশুদের শেখানোর সময় এই আলাদা ডোমেইন দুটি চিন্তা করে পরিকল্পনা করা। গণিত শেখাতে কিছু পরামর্শ ও টুলস শিক্ষার্থীদের উপকারে আসতে পারে:
=== বাহ্যিক উপস্থাপন ===
গণিতে সমস্যা সমাধান অনেক সময় মানসিকভাবে কঠিন হতে পারে, তাই বাহ্যিক উপস্থাপন অনেক উপকারী হতে পারে। এটি শিক্ষার্থীদের জন্য গণিতের ধারণা স্পষ্ট করে তুলে ধরে, যাতে তারা সহজেই জ্ঞান অর্জন করতে পারে। বাহ্যিক উপস্থাপনের কিছু উদাহরণ হলো—সমাধানসহ উদাহরণ, অ্যানিমেশন ও চিত্র।
==== সমাধানসহ উদাহরণ ====
ওয়ার্ক-আউট উদাহরণগুলো একটি দরকারী শিক্ষামূলক পদ্ধতি যা শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের গণিত শেখার সুবিধার্থে ব্যবহার করেন। গবেষণা দেখায় যে ওয়ার্ক-আউট উদাহরণগুলো ব্যবহার করে এমন শিক্ষার্থীদের বাড়িয়ে তুলতে পারে, যাদের গণিতের কর্মক্ষমতা স্তর কম। একটি কারণ হলো যখন শিক্ষার্থীদের সমাধান করার জন্য কোনও সমস্যা দেওয়া হয়, তখন তাদের সর্বোত্তম লক্ষ্য গণিত শেখার পরিবর্তে সমস্যাটি সমাধান করা। বিপরীতে, যখন শিক্ষার্থীদের কাজের উদাহরণ দেওয়া হয়, তখন তারা আসলে শিখে এবং তাদের নিজেরাই উপকরণগুলো ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করে।<ref>Renkl, A. (1999). Learning Mathematics from worked-out examples: Analyzing and Fostering self-explanations. ''European Journal of Psychology of Education, 14''(4), 477-488.</ref> সুতরাং, কাজ করা উদাহরণগুলো শিক্ষার্থীদের জন্য ইচ্ছাকৃত শিক্ষার উপর আরও বেশি ফোকাস করে। শিক্ষার্থীরা সাধারণত গাণিতিক তত্ত্ব বা প্রমাণ বুঝতে পারে না কারণ তারা বুঝতে জটিল। যাইহোক, পরিশ্রমী উদাহরণগুলো শিক্ষার্থীদের শেখার অর্জন এবং গণিতের ধারণাটি বোঝার জন্য সহজ। সুস্পষ্ট নির্দেশনা না দিয়ে, শিক্ষকরা কেবল শিক্ষার্থীদের উল্লেখ করার জন্য উদাহরণ হিসাবে গাণিতিক সমস্যাটি কীভাবে সমাধান করবেন তার পদক্ষেপগুলো দেখায়। গাণিতিক সমস্যা সমাধানের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপগুলোর বিস্তারিত ব্যাখ্যা রয়েছে। তারপরে, শিক্ষার্থীদের নিজেরাই একই ধরণের গাণিতিক সমস্যাটি স্ব-ব্যাখ্যা করার স্বায়ত্তশাসন রয়েছে। সুতরাং, তারা অনেক গাণিতিক সমস্যা সমাধানের জন্য রেফারেন্স হিসাবে কাজ করা উদাহরণগুলো ব্যবহার করতে পারে।<ref>Tu, C-T. (2011). An Instructional experiment: Using worked-out examples in mathematics problem-solving of elementary school students. ''Bulletin of Educational Psychology, 43''(1), 25-50.</ref> শিক্ষকরা যে পরিশ্রমী উদাহরণ দিয়েছেন তা উল্লেখ করে তারা কীভাবে সমস্যার সমাধান করা যায় সে সম্পর্কে তাদের চিন্তাভাবনাকে স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত করতে পারে। অতএব, এটি শিক্ষার্থীদের স্ব-নিয়ন্ত্রিত শিক্ষার ক্ষেত্রেও বাড়িয়ে তুলতে পারে কারণ তারা সমস্যা সমাধানে তাদের সমালোচনামূলক চিন্তাভাবনা অনুশীলন করছে। এই '''মেটাকগনিটিভ''' কৌশলটি শিক্ষার্থীদের বিশেষত গাণিতিক শব্দ সমস্যাগুলোতে তাদের সমস্যা সমাধানের দক্ষতা উন্নত করতে সহায়তা করতে পারে। মেটাকগনিটিভ কৌশলগুলোর মধ্যে স্ব-জিজ্ঞাসা, স্ব-মূল্যায়ন, সংক্ষিপ্তকরণ এবং সমস্যাটি চিত্রিত করা অন্তর্ভুক্ত।<ref>Tajika, H., Nakatsu, N., Nozaki H., Neumann, E., & Maruno S. (2007). Effects of Self-Explanation as a Metacognitive Strategy for Solving Mathematical Word Problems. ''Japanese Psychological Research, 49''(3), 222-233.</ref> এই কৌশলগুলো শিক্ষার্থীদের জন্য জ্ঞান অর্জন করার সময় কাজ করা উদাহরণগুলো থেকে আরও গভীর বোঝার জন্য তৈরি করে বলে বিশ্বাস করা হয়। গবেষণায় দেখা গেছে যে শিক্ষার্থীরা সমস্যাটি স্ব-ব্যাখ্যা করতে এবং তাদের সমাধান করতে পারে তাদের উচ্চতর গণিতের কৃতিত্ব রয়েছে। যখন শিক্ষার্থীরা নিজেরাই গাণিতিক সমস্যাটি কীভাবে সমাধান করা যায় তার পদক্ষেপগুলো ব্যাখ্যা করে, তখন তারা তাদের প্রতিফলিত চিন্তাভাবনা অনুশীলন করে যা তথ্য দেওয়া হয়েছিল তার বাইরেও বৃহত্তর বোঝার তৈরি করতে পারে। প্রকৃতপক্ষে, শিক্ষার্থীরা গণিতের নতুন এবং পরিশীলিত জ্ঞান বিকাশ করতে পারে কারণ তারা তাদের পূর্ব জ্ঞানের সাথে নতুন শেখা উপকরণগুলোকে একত্রিত করে।<ref>Tajika, H., Nakatsu, N., Nozaki H., Neumann, E., & Maruno S. (2007). Effects of Self-Explanation as a Metacognitive Strategy for Solving Mathematical Word Problems. ''Japanese Psychological Research, 49''(3), 222-233.</ref> উপরন্তু, ওয়ার্ক-আউট উদাহরণগুলো গ্রুপ সেটিংসেও ব্যবহার করা যেতে পারে যেখানে শিক্ষার্থীরা গাণিতিক সমস্যা সমাধানে তাদের সহপাঠীদের সাথে আলোচনা করতে পারে। গবেষণায় দুটি উপায় পাওয়া গেছে যাতে শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষে ওয়ার্ক-আউট উদাহরণ ব্যবহার করতে পারে।<ref>Mevarech, Z. R., & Kramarski, B. (2003). The Effects of Metacognitive Training versus Worked-out Examples on Students’ mathematical reasoning. ''British Journal of Educational Psychology, 73''(4), 449-471. doi: http://dx.doi.org.proxy.lib.sfu.ca/10.1348/000709903322591181</ref> একটা উপায় হলো, যারা কাজের উদাহরণ বোঝে তারা যারা বোঝে না তাদের বোঝাতে পারবে। অন্য উপায়টি হলো শিক্ষার্থীরা তাদের যুক্তি এবং যুক্তি দক্ষতা ব্যবহার করে সম্পূর্ণরূপে কার্যকরী উদাহরণগুলো ব্যাখ্যা করে। উভয় উপায়ে শিক্ষার্থীদের কাজের উদাহরণগুলোর বিশদ আলোচনা করে একটি সামাজিক ইন্টারেক্টিভ সেটিংয়ে শেখার সাথে জড়িত। একটি সামাজিক সেটিংয়ে শেখা উপকরণগুলোর বোঝাপড়াকে শক্তিশালী করতে পারে কারণ শিক্ষার্থীরা উদাহরণগুলো আরও গভীরভাবে প্রসারিত করছে। একটি স্পষ্ট বোঝার জন্য তারা কাজ করা উদাহরণগুলোর সাথে তাদের যে কোনও প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করতে পারে।<ref>Mevarech, Z. R., & Kramarski, B. (2003). The Effects of Metacognitive Training versus Worked-out Examples on Students’ mathematical reasoning. ''British Journal of Educational Psychology, 73''(4), 449-471.</ref> তাই, শিক্ষার্থীদের উচিত ছোট দলে ভাগ হয়ে উদাহরণগুলো নিয়ে আলোচনা করা এবং সমস্যা সমাধানের প্রক্রিয়া প্রতিফলিত করে নতুন জ্ঞান অর্জন করা।
==== অ্যানিমেশন ====
গণিত শেখার প্রতি শিক্ষার্থীদের আগ্রহ বাড়ানোর জন্য, অ্যানিমেশন শিক্ষার্থীদের শেখানোর জন্য ব্যবহার করার জন্য একটি দুর্দান্ত শিক্ষামূলক সরঞ্জাম। যেহেতু গণিত মাঝে মাঝে বেশ বিরক্তিকর এবং অনাকর্ষণীয় হতে পারে, তাই অ্যানিমেশনগুলো শিক্ষার্থীদের গণিত শেখার আগ্রহ আকর্ষণ করতে পারে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, অ্যানিমেশনগুলো গণিতে শিক্ষার্থীদের সমস্যা সমাধানের দক্ষতার সুবিধার্থে দাবি করে। শিক্ষার্থীরা যে কোনও গাণিতিক সমস্যা সমাধান করার আগে, শিক্ষার্থীদের সমস্যাটি সনাক্ত করা এবং কী সমাধান করতে হবে তা জানা গুরুত্বপূর্ণ। অতঃপর, যখন শিক্ষার্থীরা সমস্যাটি অনুবাদ করা কঠিন বলে মনে করে, তখন অ্যানিমেশন সবচেয়ে কার্যকর হয়ে ওঠে কারণ এতে ভিজ্যুয়াল উপস্থাপনা থাকে যা শিক্ষার্থীদের পক্ষে প্রশ্নটি ব্যাখ্যা করা সহজ করে তোলে। বিপরীতে, যখন শিক্ষার্থীরা কেবল সমস্যাটির উপর নোট নেয়, তখন সমস্যাটির অর্থ কী তা তাদের স্পষ্ট ধারণা থাকে না কারণ তারা কেবল পাঠ্যটি অনুলিপি করছে। সমস্যার মৌখিক ব্যাখ্যা সহ একটি সচিত্র উপস্থাপনা থাকার মাধ্যমে, শিক্ষার্থীরা সমস্যাটিতে কী ঘটছে তা পুরোপুরি কল্পনা করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, যোগ এবং বিয়োগের ধারণাটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর কাছে পাঠ্যের মাধ্যমে ব্যাখ্যা করা শক্ত। যাইহোক, সমস্যাটিতে কী ঘটেছিল তার আগে এবং পরে ফ্রেম প্রদর্শন করার জন্য অ্যানিমেশনগুলো ব্যবহার করার সময় একটি স্পষ্ট বোঝাপড়া তৈরি করতে পারে। যোগ বা বিয়োগ গাণিতিক সমস্যার ক্ষেত্রে, অ্যানিমেশনগুলো সমাধানটি উপস্থাপন করতে বস্তুর বৃদ্ধি বা হ্রাস প্রদর্শন করতে পারে। এছাড়াও, অ্যানিমেশনগুলো দৃশ্যমান বস্তু, কংক্রিট ফলাফল এবং নির্দিষ্ট দৃষ্টান্ত দেখিয়ে বিমূর্ত গণিত তত্ত্বগুলো চিত্রিত করতে পারে। সুতরাং, অ্যানিমেশনগুলো স্বতন্ত্র উদাহরণগুলোর রেফারেন্স সহ গণিতের বিমূর্ত ধারণাগুলো জানাতে ব্যবহার করা যেতে পারে। অ্যানিমেশনগুলো সমস্যাগুলোর ভিজ্যুয়াল উপস্থাপনার কারণে বিমূর্ত নীতিগুলো অর্জন এবং কার্যকর-আউট উদাহরণগুলোর বোধগম্যতা সহজতর করতে পারে। যদিও কাজ করা উদাহরণগুলো কার্যকর নির্দেশমূলক অনুশীলন হিসাবে পরিচিত, অ্যানিমেশনগুলো এই উদাহরণগুলোকে কার্যকরভাবে উন্নত করতে ব্যবহার করা যেতে পারে। কাজ করা উদাহরণগুলোতে সর্বদা সচিত্র উপস্থাপনা নাও থাকতে পারে তবে কেবল লিখিত পাঠ্য থাকতে পারে। অতএব, যখন কাজ করা উদাহরণগুলোর সমাধান পদ্ধতির প্রতিটি পদক্ষেপের একটি চাক্ষুষ উপস্থাপনা থাকে, তখন শিক্ষার্থীরা সমস্যাটিতে কী চলছে তা কল্পনা করতে পারে। শিক্ষার্থীরা ব্যাখ্যা এবং প্রদত্ত ছবিগুলোর সাথে কাজ করা উদাহরণগুলো আরও ভালভাবে ব্যাখ্যা করতে পারে। ফলস্বরূপ, এটি সুপারিশ করা হয় যে গণিতে শিক্ষার্থীদের শেখার সম্পূর্ণরূপে একীভূত করার জন্য শিক্ষকদের তাদের অনুশীলনে একটি শিক্ষামূলক সরঞ্জাম হিসাবে অ্যানিমেশন ব্যবহার করা উচিত।
==== রেখাচিত্র ====
একটি তথ্যমূলক চিত্র তৈরি করা একটি খুব কঠিন পদ্ধতি হতে পারে, কারণ শিক্ষার্থীদের কেবল মৌখিক তথ্যকে ভিজ্যুয়াল তথ্যে ব্যাখ্যা করার প্রয়োজন হয় না, তবে তাদের পূর্বের জ্ঞানের সাথে যুক্ত হওয়ার আগে সম্পর্কিত তথ্যগুলো একসাথে সনাক্ত এবং সংহত করার প্রয়োজন হয়। লারকিন এবং সাইমন বিশ্বাস করতেন যে অনুসন্ধান, মিল এবং অনুমানের ক্ষেত্রে তিনটি দিকের কারণে ডায়াগ্রাম্যাটিক উপস্থাপনা সংবেদনশীল উপস্থাপনার চেয়ে সহজ এবং আরও দক্ষ। প্রথমত, এটি শব্দ সমস্যার উপাদানগুলোর মধ্যে টপোগ্রাফিক এবং জ্যামিতিক সম্পর্ক সম্পর্কে সমস্ত তথ্য স্পষ্টভাবে ধরে রাখে। অতএব, শিক্ষার্থীরা সহজেই নির্দিষ্ট তথ্য অনুসন্ধান করতে পারে। দ্বিতীয়ত, যেহেতু সমস্ত সম্পর্কিত উপাদানগুলো একসাথে গোষ্ঠীভুক্ত করা হয়েছে, এটি কংক্রিট উপস্থাপনা এবং চিত্রোপকরণের মধ্যে সংযোগ দেখায়। সুতরাং, এটি সম্পর্কিত তথ্য সনাক্তকরণের প্রক্রিয়াটি সহজ করতে পারে। এর পাশাপাশি, একটি চিত্র অঙ্কন করে সমস্যাটি উত্পাদিত হলে মেমরি লোড কম হয়, কারণ শিক্ষার্থীরা সম্পর্কিত তথ্যগুলোর মধ্যে প্রয়োজনীয় অনুমানটি স্পষ্টভাবে দেখতে পারে। অনেক গবেষণায় পরামর্শ দেওয়া হয়েছে যে ডায়াগ্রামের ব্যবহার সমস্যা সমাধানের দক্ষতা উন্নত করতে পারে।
বন্দ্যোপাধ্যায় গণিত শব্দের সমস্যা সমাধানে উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কৃতিত্বের উপর একটি প্রতিনিধিত্বমূলক কৌশল হিসাবে ডায়াগ্রামিং ব্যবহারের প্রভাব সম্পর্কে একটি গবেষণা পরিচালনা করেছেন। ফলাফলটি প্রমাণ করেছে যে ডায়াগ্রামিং পদ্ধতি (যেমন গণিতের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য ডায়াগ্রামগুলোর তৈরি এবং লেবেলগুলোতে মনোনিবেশ করা) গণিতের শব্দ সমস্যা সমাধানে তাদের অর্জনকে উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত করতে পারে।
গণিত শব্দের সমস্যা সমাধানে ডায়াগ্রাম ব্যবহার নিয়ে একটি গবেষণায়, উয়েসাকা, মানালো এবং ইচিকাওয়া জাপান এবং নিউজিল্যান্ডের শিক্ষার্থীদের তুলনা করেছিলেন। একজন জাপানি ছাত্র যে চিত্রটি এঁকেছিলেন সেটি ছিল একটি এক-বস্তু সমস্যা ব্যবহার করা, এবং নিউজিল্যান্ডের একজন ছাত্র দ্বারা উত্পাদিত একটি দ্বিমাত্রিক বস্তু ব্যবহার করে গণিত শব্দের সমস্যাগুলো সমাধান করা। ফলাফলগুলো ইঙ্গিত দেয় যে নিউজিল্যান্ডের শিক্ষার্থীদের দ্বারা সঠিক উত্তরের শতাংশ জাপানি শিক্ষার্থীদের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি ছিল। কারণটি হলো একটি ডায়াগ্রাম্যাটিক উপস্থাপনা তৈরি করা অবস্থান অনুসারে বাক্যগুলো সূচিবদ্ধ করতে পারে, যাতে শিক্ষার্থীরা একটি নির্দিষ্ট স্থানে বিশদটি স্পষ্টভাবে পর্যবেক্ষণ করতে পারে, যা সমস্যাটি বুঝতে তাদের সহজ করে।
গণিতের সমস্যা সমাধানের জন্য রেখাচিত্র ব্যবহার করার বিষয়ে শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করার জন্য, শিক্ষকদের প্রথমে তাদের শেখাতে হবে ১) রেখাচিত্র কী, ২) সমস্যা সমাধানের জন্য রেখাচিত্র ব্যবহারের গুরুত্ব, ৩) সমস্যা সমাধানে কখন রেখাচিত্র প্রয়োগ করতে হবে, ৪) গণিতের সমস্যার জন্য কোন ধরনের রেখাচিত্র ব্যবহার করা উচিত, ৫) কিভাবে ডায়াগ্রাম তৈরি করতে হয়, এবং ৬) কিভাবে একটি ডায়াগ্রাম কার্যকরভাবে ব্যবহার করতে হয়। শিক্ষার্থীদের ডায়াগ্রামের মৌলিক ধারণাগুলো জানার কারণ হলো ডায়াগ্রামগুলো সমস্ত গণিতের সমস্যাগুলোতে প্রযোজ্য নাও হতে পারে। উয়েসাকা এবং মানালো উল্লেখ করেছেন যে শিক্ষার্থীরা স্থানিক সমস্যার পরিবর্তে দৈর্ঘ্য এবং দূরত্বের ক্ষেত্রে গণিতের শব্দের সমস্যাগুলো সমাধান করার সময় ডায়াগ্রাম ব্যবহার করে, কারণ এটি সাধারণত একটি কংক্রিট সম্পর্ক এবং পরিচিত পরিমাণের সাথে জড়িত। তাদের ডায়াগ্রামের গুরুত্বপূর্ণ ধারণাগুলো শেখানোর পরে, শিক্ষকরা তাদের ৩ ধাপের পদ্ধতি নির্দেশ দিতে পারেন - জিজ্ঞাসা করুন, করুন এবং চেক করুন। ভ্যান গার্ডেরেন এবং শুয়েরম্যান পরামর্শ দিয়েছিলেন যে শিক্ষার্থীদের প্রথমে কী সমাধান করা দরকার সেদিকে মনোনিবেশ করা উচিত; তারপরে তাদের একটি চিত্র তৈরি করা উচিত। অবশেষে, তারা ডায়াগ্রামগুলো ব্যবহার করে সমস্যার সমাধান করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, কী সমাধান করা দরকার তার উপর ফোকাস করার জন্য, শিক্ষার্থীরা তথ্য অনুসন্ধানের জন্য কী ওয়ার্ড পদ্ধতিটি ব্যবহার করতে পারে এবং সমস্যা থেকে দেওয়া তথ্য স্থাপন করতে পারে। উপসংহারে, গণিতের সমস্যাগুলো সমাধান করার সময় ডায়াগ্রামগুলো কার্যকর কৌশল হতে পারে; এটি কেবল শিক্ষার্থীদের সমালোচনামূলকভাবে চিন্তা করতে সহায়তা করে না, তবে একটি ভিন্ন পদ্ধতির ব্যবহার করে সমস্যা সমাধানে তাদের সহায়তা করে।
=== অ্যালগরিদম ===
একটি অ্যালগরিদম শিক্ষার্থীদের গণিত সমস্যা সমাধানে সহায়তা করার জন্য পদক্ষেপগুলোর একটি সিরিজ। যদি তারা এই পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করে তবে তারা সর্বদা প্রতিবার একটি সঠিক উত্তর গণনা করতে সক্ষম হবে। অ্যালগরিদম পুনরাবৃত্তি ক্রমগুলোর সাথে জড়িত, এটি যোগ, বিয়োগ, গুণ এবং বিভাগের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। অ্যালগরিদম ব্যবহার করে, শিক্ষার্থীরা প্রতিটি পদক্ষেপে কী ঘটছে তা কীভাবে ব্যাখ্যা করতে পারে তা শিখতে পারে এবং যদি তারা শেষ পর্যন্ত একটি ভুল উত্তর দেয় তবে তাদের ভুলগুলো ট্র্যাক করতে সক্ষম হয়। সমস্যা সমাধানের সময় তাদের বিশদে মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন, অর্থাৎ, যখন তারা একাধিক ধাপের সমাধানের মাধ্যমে কাজ করছে, তখন তাদের দীর্ঘমেয়াদী মেমরি থেকে অ্যালগরিদমগুলো স্মরণ করতে হবে এবং ইতিমধ্যে তাদের মনে পদক্ষেপগুলোর একটি সেট থাকতে হবে। এছাড়াও, শিক্ষকদের শিক্ষার্থীদের নির্দেশ দেওয়া উচিত যে অ্যালগরিদমগুলো অবশ্যই ক্রমানুসারে সমাধান করতে হবে, কোনও পদক্ষেপই ঝাঁপিয়ে পড়া যাবে না। উদাহরণস্বরূপ, যখন শিক্ষার্থীরা মৌলিক গাণিতিক অপারেশনগুলো শিখছে, তখন তাদের শিখতে হবে যে ৫ + ৮×৬ এর মতো সমস্যা সমাধানের জন্য একটি নির্দিষ্ট ক্রম রয়েছে। শিক্ষার্থীদের বুঝতে হবে যে তাদের প্রথমে গুণ করতে হবে, তারপরে সংযোজন অংশ। যদি তারা সঠিক ক্রম অনুসরণ করতে পারে তবে তারা সর্বদা একটি সঠিক উত্তর দিতে পারে। যাইহোক, পল কব গ্রেড ১ এবং ২ শিক্ষার্থীদের দ্বিগুণ অঙ্কের সংযোজন সমস্যা সমাধানের বিষয়ে একটি গবেষণা পরিচালনা করেছেন। তিনি লক্ষ্য করেন যে, সকল শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করে ১৬+৯ এর জন্য সঠিক উত্তর দিতে সক্ষম হয়েছে। বিপরীতভাবে, যদি তাদের একই সমস্যা সমাধানের জন্য বহন করার সাথে ঐতিহ্যবাহী স্কুল অ্যালগরিদম ব্যবহার করতে বলা হয় তবে একটি উল্লম্ব প্রেক্ষাপটের সাথে, তাদের মধ্যে অনেকগুলো একটি ভুল উত্তর দেয়। তিনি উপসংহারে পৌঁছেছিলেন যে শিক্ষার্থীদের একটি ঐতিহ্যবাহী স্কুল অ্যালগরিদমের সাথে ত্রুটি করার উচ্চতর সম্ভাবনা থাকার কারণ হলো তারা অ্যালগরিদমগুলো কীভাবে কাজ করে তা সম্পূর্ণরূপে বোঝার পরিবর্তে কেবল নিয়মগুলো অনুসরণ করতে বাধ্য করছিল। ব্রাউন এবং বার্টন আবিষ্কার করেছেন যে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে শিক্ষার্থী তাদের গণিতের সমস্যাগুলো সমাধান করার জন্য ধারাবাহিকভাবে অ্যালগরিদমের এক বা একাধিক ভুল সংস্করণ ব্যবহার করছে। যদিও অনেক ভুল অ্যালগরিদম একটি সঠিক উত্তর দেয়, তবুও এটি সব ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নাও হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, কিছু বাচ্চাদের একটি পূর্বধারণা ছিল যে বিয়োগ অ্যালগরিদম মানে প্রতিটি একক কলামে বড় থেকে ছোট সংখ্যা নেওয়া, নির্বিশেষে যে সংখ্যাটি শীর্ষে ছিল। বাম দিকের চিত্রটি ব্যাখ্যা করতে পারে কেন ভুল অ্যালগরিদমগুলো সর্বদা সঠিক সমাধান তৈরি করতে পারে না।
ব্রাউন এবং বার্টন উল্লেখ করেছেন যে যদিও বিয়োগ অ্যালগরিদম সম্পর্কে ভুল ধারণা রয়েছে এমন শিশুরা বিয়োগের গাণিতিক ক্রিয়াকলাপগুলো বুঝতে পারে বলে মনে হতে পারে, কারণ এটি তাদের অংশ ক) এবং অংশ গ) এ সঠিক সমাধান দিতে গাইড করতে পারে)। যাইহোক, তারা অংশ খ) এবং অংশ ডি-তে একটি ভুল উত্তর দেবে), কারণ দ্বিতীয় কলামের উপরের সংখ্যাগুলো নীচের সংখ্যার চেয়ে ছোট। নাগেল এবং সুইংজেন বিশ্বাস করতেন যে বহন বা ধার করার সাথে ঐতিহ্যবাহী অ্যালগরিদমগুলো কেবল তাদের দক্ষতা এবং নির্ভুলতা বাড়িয়ে তুলতে পারে, তবুও শিক্ষার্থীদের জন্য বোধগম্যতাকে অবহেলা করে।
অতএব, অ্যালগরিদমগুলোর ক্রমিক দিকগুলো কার্যকরভাবে মোকাবেলা করার জন্য, শিক্ষাবিদদের কোনও সমস্যা সমাধানের জন্য একাধিক পদক্ষেপ প্রয়োগ করার সময় শিক্ষার্থীদের তাদের স্থানিক দক্ষতাগুলো ব্যবহার করতে শেখানো উচিত। উদাহরণস্বরূপ, সমস্যাগুলো সফলভাবে সমাধান করার জন্য কীভাবে সংখ্যাগুলো সারিবদ্ধ এবং সঠিকভাবে ব্যবধান রাখা যায় তা তাদের শিখতে হবে; বিশেষ করে যখন তারা কলাম বিয়োগ, একাধিক অঙ্ক গুণ ইত্যাদি গণনা করে। শিক্ষকদের সমস্যা সমাধানের জন্য তাদের নিজস্ব অ্যালগরিদম বিকাশ এবং ব্যবহার করতে শিক্ষার্থীদের উত্সাহিত করা উচিত। তারা তাদের শিক্ষার্থীদের অ্যালগরিদমের সাথে স্মৃতিবিদ্যা অন্তর্ভুক্ত করতে উত্সাহিত করতে পারে; এই পদ্ধতির তাদের সমস্যা সমাধানের পদ্ধতির মতো জিনিসগুলো মনে রাখতে সহায়তা করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, পিইডিএমএএস অপারেশন চালানোর সময় তাদের অর্ডারটি বলতে পারে। কেবল বাম থেকে ডানে একটি গাণিতিক অপারেশন সমাধান করার পরিবর্তে, তারা এখন বুঝতে পারে যে তাদের প্রথমে বন্ধনীগুলো সমাধান করতে হবে। অধিকন্তু, শিক্ষকদের উচিত ছাত্রদের একটি উত্তর সমাধানের চেষ্টা করার আগে প্রথমে পুরো সমস্যাটি দেখতে বলা, তারপরে তাদের শেখানো উচিত যে কীভাবে সমস্যাটিকে ছোট ছোট অংশে বিভক্ত করা যায় এবং অ্যালগরিদমগুলো ব্যবহার করে কোন অংশগুলোর প্রয়োজন হবে তা নির্ধারণ করা। তাদের প্রতিটি অংশের জন্য কোন অ্যালগরিদম প্রয়োগ করা উচিত তাও জানা উচিত; এবং অবশেষে, তাদের প্রতিটি পদক্ষেপের জন্য তাদের উত্তরগুলো প্রতিফলিত করা উচিত। পদক্ষেপগুলো দেখানোর মাধ্যমে, শিক্ষার্থীরা সর্বদা তাদের ভুলগুলো ট্র্যাক করতে পারে এবং শেষ পর্যন্ত একটি সঠিক সমাধানে আসতে পারে।
=== শব্দ সমস্যা কৌশল ===
শব্দ সমস্যাগুলো সমস্ত শিশুদের জন্য একটি বিশেষ কেস উপস্থাপন করে, তবে বিশেষত যারা সমস্যা সমাধানের শেখার অক্ষমতা রয়েছে। গণনামূলক সমস্যা এবং শব্দ সমস্যার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য হলো ভাষাগত তথ্য সংযোজন। অন্য কথায়, লিখিত সমস্যাটিকে একটি গণনামূলক সংখ্যা বাক্যে অনুবাদ করার জন্য শিশুদের প্রথমে লিখিত শব্দগুলো পড়তে হবে এবং তথ্যটি ফিল্টার করতে হবে। সমস্যাটির প্রকৃত গণিত অংশটি শেষ করার আগে শিশুদের অবশ্যই অনুপস্থিত তথ্যের পাশাপাশি প্রাসঙ্গিক তথ্য সনাক্ত করতে হবে।
শব্দ সমস্যাগুলো অনেক শিক্ষার্থীর পক্ষে বোঝার জন্য চ্যালেঞ্জিং তবে শিক্ষার্থীর প্রথম ভাষা ইংরেজি না হলে সমস্যাটি আরও জটিল হয়। জান, এস এবং রড্রিগস, এস (২০১২) মতে, দ্বিতীয় ভাষা হিসাবে ইংরেজি সহ শিশুরা ভাষার বাধার কারণে সমস্যার বিবৃতিগুলো বুঝতে পারে না। তারা মূল শব্দের উপর নির্ভর করে বা সমস্যার বিবৃতিটি ভুল ব্যাখ্যা করে এবং তাই তাদের ফলস্বরূপ সমাধানটি ভুল হতে পারে। মূল শব্দের উপর নির্ভর করা শিক্ষার্থীদের সমস্যাটি বোঝার চেষ্টা থেকে বিভ্রান্ত করতে পারে। "মূল শব্দগুলো দৈনন্দিন ভাষা এবং গাণিতিক ভাষার মধ্যে পার্থক্য করার ক্ষেত্রে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে পারে।
এই গবেষণা থেকে প্রাপ্ত ফলাফলগুলো পরামর্শ দেয় যে ক্লাস বা ছোট গ্রুপ আলোচনা শিক্ষার্থীদের সমস্যার প্রকৃতি স্পষ্ট করার সুযোগ দেবে যাতে তারা কী দেওয়া হচ্ছে এবং কী জিজ্ঞাসা করা হচ্ছে তা বুঝতে পারে। শিক্ষার্থীদের পড়ার, বোঝার, একে অপরের ধারণাগুলো ভাগ করে নেওয়ার এবং বিভিন্ন কৌশল থেকে সমস্যা এবং সমাধান বিবেচনা করার সুযোগ প্রদান করা শিক্ষার্থীদের সমস্যাটির আরও বেশি বোঝার সুযোগ দেবে।
শব্দ সমস্যাগুলো শেখানোর জন্য একটি জ্ঞানীয় পদ্ধতি গ্রহণের ক্ষেত্রে, শিক্ষকের পক্ষে শিক্ষার্থীদের শব্দ সমস্যার অর্থ সম্পর্কে চিন্তাভাবনা এবং আলোচনা করার পর্যাপ্ত সুযোগ প্রদান করা এবং তারপরে তাদের সহপাঠীদের সাথে একাধিক সমাধান বিবেচনা করা গুরুত্বপূর্ণ। এই পদ্ধতির ভাষা বাধা রয়েছে এমন শিক্ষার্থী এবং গণিত শেখার প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী উভয়ের জন্যই মূল্যবান।
লার্নিং ডিসেবিলিটিজ কাউন্সিল সমস্যা সমাধানে শিক্ষার্থীদের নির্দেশ দেওয়ার জন্য নিম্নলিখিত কয়েকটি কৌশল সুপারিশ করে:
''- দ্রুত ড্র'' (মার্সার এবং মিলার, ১৯৯২) আপনি কী সমাধান করছেন তা সন্ধান করুন। নিজেকে জিজ্ঞাসা করুন, "সমস্যার অংশগুলো কী কী? সংখ্যাগুলো সেট আপ করুন। সাইনবোর্ড বেঁধে দিন।
চিহ্নটি আবিষ্কার করুন। সমস্যাটি পড়ুন। উত্তর দিন, বা আঁকুন এবং পরীক্ষা করুন। উত্তরটি লিখুন।
''- প্রশ্ন এবং ক্রিয়া'' (রিভেরা, ১৯৯৪) পদক্ষেপ একটি। সমস্যাটি পড়ুন। প্রশ্ন এমন কোন শব্দ আছে যা আমি জানি না? আমি কি জানি প্রতিটি শব্দের অর্থ কী? আমার কি সমস্যাটি আবার পড়তে হবে? সংখ্যার শব্দ আছে কি? ক্রিয়া শব্দগুলো আন্ডারলাইন করুন। জেনে নিন সংজ্ঞা। আবার পড়ুন। আন্ডারলাইন করুন। b. সমস্যাটি পুনর্ব্যক্ত করুন। কোন তথ্যটি গুরুত্বপূর্ণ? কোন তথ্যের প্রয়োজন নেই? কী সেই প্রশ্ন? আন্ডারলাইন করুন। ক্রস আউট। নিজের কথায় রাখুন। গ. একটি পরিকল্পনা তৈরি করুন। ঘটনা কী? কীভাবে তাদের সংগঠিত করা যায়? কয়টি ধাপ আছে? আমি কোন অপারেশন ব্যবহার করব? একটি তালিকা তৈরি করুন। চার্ট বিকাশ করুন। ম্যানিপুলেটিভস ব্যবহার করুন। ছোট সংখ্যা ব্যবহার করুন। একটি অপারেশন নির্বাচন করুন। ঘ. সমস্যাটি গণনা করুন। আমি কি সঠিক উত্তর পেয়েছি? অনুমান করুন। সঙ্গীর সাথে চেক করুন। ক্যালকুলেটর দিয়ে যাচাই করুন। ই। ফলাফল পরীক্ষা করুন। আমি কি প্রশ্নের উত্তর দিয়েছি? আমার উত্তরটি কি যৌক্তিক বলে মনে হচ্ছে? আমি কি প্রশ্ন/উত্তর দিতে পারি? প্রশ্নটি আবার পড়ুন। প্রশ্ন/উত্তর চেক করুন। একটি সংখ্যা বাক্য লিখুন।
৩. ''টিনস স্ট্র্যাটেজি'' (ওয়েন, ২০০৩) শব্দ সমস্যাগুলো বিশ্লেষণ এবং সমাধানের জন্য ব্যবহৃত বিভিন্ন পদক্ষেপগুলো এই সংক্ষিপ্ত বিবরণ দিয়ে প্রতিনিধিত্ব করা হয়। চিন্তা: এই সমস্যা সমাধানের জন্য আপনাকে কী করতে হবে তা ভেবে দেখুন এবং মূল শব্দগুলো বৃত্তাকার করুন। তথ্য: এই সমস্যা সমাধানের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য বৃত্তাকার করুন এবং লিখুন; একটি ছবি আঁকুন; অপ্রয়োজনীয় তথ্য ক্রস করুন। সংখ্যার বাক্য: সমস্যাটি উপস্থাপন করতে একটি সংখ্যা বাক্য লিখুন। সমাধান বাক্য: একটি সমাধান বাক্য লিখুন যা আপনার উত্তরটি ব্যাখ্যা করে। উদাহরণ: কাইল ৬ বেসবল কার্ড কিনেছিল। পরের দিন, তিনি তার সংগ্রহে আরও ১১ টি কার্ড যুক্ত করেছিলেন। তার কাছে মোট কয়টি কার্ড আছে? ভাবনাঃ + তথ্য: ৬ বেসবল কার্ড, ১১ বেসবল কার্ড সংখ্যা বাক্য: ৬ + ১১ = সমাধান বাক্য: কাইলের সংগ্রহে ১৭ টি বেসবল কার্ড রয়েছে।
৪. ''সমস্যা সমাধান'' (বিরশ, লিয়ন, ডেনকলা, অ্যাডামস, মোটস এবং স্টিভস, ১৯৯৭) আগে সমস্যাটা পড়ুন। প্রশ্নটি হাইলাইট করুন। গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বৃত্তাকার করুন। একটি পরিকল্পনা বিকাশ করুন। সংখ্যাগুলো উপস্থাপন করতে ম্যানিপুলেটিভ ব্যবহার করুন। পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করুন। আপনার কাজ চেক করুন।
=== বীজগণিত শেখানোর জন্য জ্ঞানীয় শিক্ষক ===
১৯৮৫ সালে, অ্যান্ডারসন, বয়েল এবং রেইগসার ইন্টেলিজেন্ট টিউটরিং সিস্টেমগুলোতে জ্ঞানীয় মনোবিজ্ঞানের শৃঙ্খলা যুক্ত করেছিলেন। তখন থেকে, বুদ্ধিমান টিউটরিং সিস্টেমটি শিক্ষার্থীদের জ্ঞান অর্জনের জন্য জ্ঞানীয় মডেল তৈরির জন্য এই পদ্ধতিটি গ্রহণ করেছিল যার নাম দেওয়া হয়েছিল জ্ঞানীয় টিউটর। [® ট্রেডমার্কের মালিক কার্নেগি লার্নিং, ইনকর্পোরেটেড বীজগণিত I, II, বীজগণিতের সেতু, জ্যামিতি এবং ইন্টিগ্রেটেড ম্যাথ I, II, III সহ পূর্ণ-স্কেল জ্ঞানীয় টিউটর® বিকাশ করছে। কগনিটিভ টিউটরে® এখন স্প্যানিশ মডিউলও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
==== কিভাবে শেখাবেন ====
দুটি অন্তর্নির্মিত অ্যালগরিদম, '''''মডেল ট্রেসিং''''' এবং '''''জ্ঞান ট্রেসিং''''' সফ্টওয়্যার ব্যবহারের সময় শিক্ষার্থীদের শেখার নিরীক্ষণে সহায়তা করতে পারে। মডেল ট্রেসিং জাস্ট-ইন-টাইম প্রতিক্রিয়া, অন-ডিমান্ড ইঙ্গিতগুলো সরবরাহ করতে পারে এবং শিক্ষার্থীদের পারফরম্যান্স ট্রেসের প্রতিটি পদক্ষেপের উপর ভিত্তি করে সামগ্রী-নির্দিষ্ট পরামর্শ দিতে পারে। জ্ঞান ট্রেসিং পূর্বের জ্ঞানের উপর ভিত্তি করে প্রতিটি ব্যবহারকারীর জন্য শেখার কাজগুলো পৃথক করতে পারে।
কগনিটিভ টিউটর কীভাবে জাস্ট-ইন-টাইম ফিডব্যাক, অন-ডিমান্ড ইঙ্গিত, বিষয়বস্তু-নির্দিষ্ট পরামর্শ এবং ব্যক্তিগতকৃত কাজগুলোর মাধ্যমে বীজগণিত শেখার সুবিধার্থে আরও বিশদ তথ্য পেতে আপনি ''সমস্যা সমাধান, সমালোচনামূলক চিন্তাভাবনা এবং যুক্তি'' (২.৫.২ জ্ঞানীয় টিউটরের তাত্ত্বিক পটভূমি) অধ্যায়ে যেতে পারেন।
==== কগনিটিভ টিউটর® বীজগণিত প্রথম ====
জ্ঞানীয় টিউটরদের কার্যকারিতা সম্পর্কে, পূর্ববর্তী গবেষণা প্রমাণ শ্রেণীকক্ষের নির্দেশনার চেয়ে জ্ঞানীয় টিউটরদের কার্যকারিতাকে বেশি সমর্থন করে।[১][২][৩][৪] তবে, মার্কিন শিক্ষা বিভাগের শিক্ষা বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট দ্বারা প্রতিষ্ঠিত সাম্প্রতিক স্বাধীন বৃহৎ পরিসরের গবেষণা, হোয়াট ওয়ার্কস ক্লিয়ারিংহাউস, [৫], জ্ঞানীয় টিউটর® বীজগণিত I-এর উপর ২২টি গবেষণার মধ্যে ৬টি পর্যালোচনা করেছে, যার মধ্যে ১১৮টি স্থানে ৮-১৩ শ্রেণীর ১২,৮৪০ জন শিক্ষার্থী অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। গবেষকরা দেখেছেন যে জ্ঞানীয় টিউটর® বীজগণিত I বীজগণিতের উপর মিশ্র প্রভাব ফেলে এবং মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের জন্য সাধারণ গণিত অর্জনের উপর কোনও পরিসংখ্যানগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ বা উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলে না।
মর্গান এবং রিটার, [৬] মুর, ওকলাহোমার পাঁচটি ভিন্ন স্কুলে নবম শ্রেণীর বীজগণিত ক্লাসে একটি শিক্ষক-সহ একটি পরীক্ষা পরিচালনা করেছিলেন। এই গবেষণায়, প্রতিটি শিক্ষককে কমপক্ষে একটি জ্ঞানীয় টিউটর® বীজগণিত I সমন্বিত শ্রেণীকক্ষ এবং একটি ঐতিহ্যবাহী শ্রেণীকক্ষ বরাদ্দ করা হয়েছিল। অনুসন্ধানে দেখা গেছে যে, কগনিটিভ টিউটর® অ্যালজেব্রা I ব্যবহার করে যারা শিখেছে তারা তাদের সমবয়সীদের তুলনায় ভালো ফলাফল করেছে যারা সফটওয়্যার ব্যবহার করেনি, এবং গণিতের প্রতি ইতিবাচক মনোভাব, যেমন গণিতে আত্মবিশ্বাস বেশি ছিল।
ক্যাবালো, জ্যাকিউ এবং ভু[৭] হাওয়াইয়ের মাউই কাউন্টির পাঁচটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কগনিটিভ টিউটর® অ্যালজেব্রা I এর কার্যকারিতা পরীক্ষা করার জন্য একটি এলোমেলো পরীক্ষা পরিচালনা করেছে। কগনিটিভ টিউটর® অ্যালজেব্রা I বাস্তবায়নের ছয় মাস পর, শিক্ষার্থীদের ২০০৫-০৬ শিক্ষাবর্ষের শেষে NWEA অ্যালজেব্রা এন্ড-অফ-কোর্স অ্যাচিভমেন্ট লেভেল পরীক্ষা দিতে হয়েছিল। অনুসন্ধানে দেখা গেছে যে, সামগ্রিকভাবে কগনিটিভ টিউটর® সফ্টওয়্যারের প্রতি শিক্ষার্থীদের ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করা হয়েছে এবং বেশিরভাগ শিক্ষার্থী, সফটওয়্যার ব্যবহার করুক বা না করুক, গণিত পরীক্ষায় উন্নতি দেখিয়েছে। তবে, কগনিটিভ টিউটর® ব্যবহার করার আগে যাদের স্কোর কম ছিল তারা উচ্চ প্রাথমিক স্কোর প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নতি করেছে।
ক্যাম্পুজানো, ডাইনারস্কি, আগোডিনি এবং রাল[৮] প্রযুক্তি-ভিত্তিক শিক্ষার কার্যকারিতার উপর কংগ্রেস কর্তৃক নির্দেশিত একটি ২ বছরের গবেষণা পরিচালনা করেছেন, যার মধ্যে চারটি জেলার নয়টি উচ্চ-দারিদ্র স্কুলে দ্বিতীয় বর্ষে কগনিটিভ টিউটর® অ্যালজেব্রা I নিয়োগ করা অন্তর্ভুক্ত। গবেষকরা এলোমেলোভাবে নিয়ন্ত্রিত পরীক্ষার পদ্ধতি গ্রহণ করেছেন এবং শিক্ষকদের এলোমেলোভাবে সফ্টওয়্যার ব্যবহার করার জন্য অথবা বিদ্যমান স্কুল পাঠ্যক্রম ব্যবহার চালিয়ে যাওয়ার জন্য নিয়োগ করেছেন। সমস্ত শিক্ষার্থীকে শরৎ এবং বসন্তে ETS শেষ কোর্স পরীক্ষা দেওয়া হয়েছিল, এবং যারা সফ্টওয়্যারটি ব্যবহার করেছিলেন তাদের প্রথম বছরের তুলনায় দ্বিতীয় বর্ষে উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি স্কোর ছিল। তবে, হস্তক্ষেপ গোষ্ঠী এবং তুলনামূলক গোষ্ঠীর মধ্যে পরীক্ষার স্কোরের পার্থক্য খুব কম (p<০.৩)।
পেন, গ্রিফিন, ম্যাক্যাফ্রে এবং কারাম[৯] আমেরিকায় প্রযুক্তি-সমন্বিত বীজগণিত পাঠ্যক্রমের কার্যকারিতা পরীক্ষা করার জন্য এলোমেলোভাবে নিয়ন্ত্রিত পরীক্ষা গ্রহণ করেছেন। গবেষণাটি টানা দুই স্কুল বছর ধরে চলেছিল এবং কগনিটিভ টিউটর® অ্যালজেব্রা I সফ্টওয়্যারটি শিক্ষক-নির্দেশিত শ্রেণীকক্ষের নির্দেশনা (সপ্তাহে ৩ দিন) এবং কম্পিউটার-নির্দেশিত নির্দেশনা (সপ্তাহে ২ দিন) উভয় ক্ষেত্রেই প্রয়োগ করা হয়েছিল। উচ্চ বিদ্যালয়ের ফলাফলগুলি প্রথম স্কুল বছরে ইন্টারভেনশন গ্রুপ এবং তুলনামূলক গ্রুপের শিক্ষার্থীদের মধ্যে শেখার সাফল্যের সামান্য পার্থক্য দেখিয়েছে (p<০.৪৬)। তবে, প্রমাণগুলি দৃঢ়ভাবে দ্বিতীয় বছরে (p<০.০৪) কগনিটিভ টিউটর® অ্যালজেব্রা I সংহত করার সুবিধাগুলিকে সমর্থন করে, ইন্টারভেনশন গ্রুপের কম কৃতিত্বের শিক্ষার্থীদের একই গ্রুপের উচ্চ-কর্মক্ষমতা সম্পন্ন শিক্ষার্থীদের তুলনায় বেশি উন্নতি হয়েছে।
== শব্দকোষ ==
'''অ্যালগরিদম''' গণিতের একটি ধারাবাহিক ধাপ সহ একটি পদ্ধতি যা যখন কোনও গাণিতিক সমস্যা সমাধানের জন্য যথাযথভাবে ব্যবহার করা হয়, তখন এটি একটি সঠিক সমাধান দেয়।
'''প্রয়োগ''' ঘটে যখন শিক্ষার্থীরা গাণিতিক ধারণা এবং দৈনন্দিন জীবনের পরিস্থিতির মধ্যে সংযোগ তৈরি করতে সক্ষম হয়।
'''ব্যাখ্যা''' ঘটে যখন শিক্ষার্থীরা কোনও সমস্যার দিকগুলো সনাক্ত করে এবং বিশ্লেষণ করে, এটি তাদের সমস্যা সমাধানের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য ব্যাখ্যা করতে দেয়।
'''শ্রেণিবিন্যাস''' হলো অনুরূপ বৈশিষ্ট্যের উপর ভিত্তি করে বস্তুর গোষ্ঠীভুক্তকরণের ক্ষমতা।
'''ধারণাগত জ্ঞান''' হলো মানসিক কাঠামো যা শিক্ষার্থীদের যুক্তি এবং গণিতের বোঝার প্রচার করে।
'''ঘোষণামূলক জ্ঞান''' হলো যখন গাণিতিক ধারণাগুলো, যা বাস্তব জ্ঞান, দীর্ঘমেয়াদী স্মৃতি থেকে পুনরুদ্ধার করা হয়; অতএব, অন্যান্য জটিল গাণিতিক সমস্যা সমাধানের জন্য এই ধারণাগুলো ব্যবহার করে।
'''মূল্যায়ন''' ঘটে যখন শিক্ষার্থীরা কোনও সমস্যা সমাধানের সঠিকতা নির্ধারণ করতে একটি নির্দিষ্ট রুব্রিক ব্যবহার করতে পারে।
'''অনুমান''' ঘটে যখন শিক্ষার্থীরা নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে সাধারণ ধারণাগুলো ব্যবহার করতে এবং বস্তুর মধ্যে মিল এবং পার্থক্যগুলো আলাদা করতে সক্ষম হয়।
'''অন্তর্নিহিত প্রেরণা''' হলো যখন শিক্ষার্থীরা মূলত তাদের নিজস্ব ব্যক্তিগত স্বার্থের জন্য সম্পাদন করতে চায়।
'''মেটাকগনিটিভ''' হলো জ্ঞান যা কারও চিন্তাভাবনা এবং শেখার নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যবহৃত হয়।
'''পদ্ধতিগত জ্ঞান''' হলো কৌশল পদক্ষেপের ক্রম ব্যবহার করে গাণিতিক সমস্যাগুলো কীভাবে সমাধান করা যায় সে সম্পর্কে জ্ঞান।
'''সেরিয়েশন''' হলো দৈর্ঘ্য, ওজন বা ভলিউমের মতো আকারের উপর ভিত্তি করে ছোট থেকে বড় অবজেক্টগুলো অর্ডার করার ক্ষমতা।
'''স্ব-নিয়ন্ত্রিত শিক্ষা''' হলো নিজের শেখার নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা, পরিকল্পনা করা থেকে শুরু করে পরে কীভাবে পারফরম্যান্সের মূল্যায়ন করা হয়।
'''স্বল্পমেয়াদী স্মৃতি''' অস্থায়ীভাবে তথ্য সংরক্ষণের জন্য দায়ী যা অবশ্যই ব্যবহার করা উচিত, তবে অগত্যা ম্যানিপুলেটেড নয়।
'''কার্যকর স্মৃতি''' হলো সিস্টেমটি অস্থায়ীভাবে নতুন বা পূর্বে সঞ্চিত তথ্য ধারণ করার জন্য দায়ী যা বর্তমান টাস্ক সমাপ্তির জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে।
== প্রস্তাবিত পাঠ ==
# নবীন শিক্ষকদের গণিতের সমস্যা সমাধানের বিশ্বাস এবং উপলব্ধির একটি কেস স্টাডি। ''Baker, C. K. (২০১৫)। নবীন শিক্ষকদের গণিতের সমস্যা সমাধানের বিশ্বাস এবং উপলব্ধির একটি কেস স্টাডি। গবেষণামূলক অ্যাবস্ট্রাক্ট ইন্টারন্যাশনাল সেকশন এ, ৭৫''
# পাইগেট এবং ভাইগটস্কি: অনেক সাদৃশ্য, এবং একটি গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য। ''Lourenço, O. (২০১২)। পাইগেট এবং ভাইগটস্কি: অনেক সাদৃশ্য, এবং একটি গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য। মনোবিজ্ঞানে নতুন ধারণা, ৩০ (৩), ২৮১-২৯৫। ডিওআই:১০.১০১৬/j.newideapsych.২০১১.১২.০০৬''
== তথ্যসূত্র ==
ফুচস, এলএস, ফুচস, ডি, স্টুবিং, কে, ফ্লেচার, জেএম, হ্যামলেট, সিএল, এবং ল্যামবার্ট, ডাব্লু (২০০৮)। সমস্যা সমাধান এবং গণনামূলক দক্ষতা: তারা গাণিতিক জ্ঞানের ভাগ বা স্বতন্ত্র দিক? শিক্ষাগত মনোবিজ্ঞান জার্নাল ১০০ (১), ৩০
হানিচ, এলবি, জর্ডান, এনসি, কাপলান, ডি, এবং ডিক, জে (২০০১)। "শেখার প্রতিবন্ধী শিশুদের মধ্যে গাণিতিক জ্ঞানের বিভিন্ন ক্ষেত্র জুড়ে পারফরম্যান্স"। শিক্ষাগত মনোবিজ্ঞান জার্নাল, ৯৩, ৬১৫–৬২৬।
রাউর্ক, বিপি, এবং ফিনলেসন, এমএজে (১৯৭৮)। "একাডেমিক দক্ষতার নিদর্শনগুলোর বিভিন্নতার নিউরোপাইকোলজিকাল তাত্পর্য: মৌখিক এবং ভিজ্যুয়াল-স্থানিক ক্ষমতা"। অস্বাভাবিক শিশু মনোবিজ্ঞান জার্নাল, ৬, ১২১–১৩৩।
সোয়ানসন, এইচএল, এবং বিবে-ফ্রাঙ্কেনবার্গার, এম (২০০৪)। "গুরুতর গণিতের অসুবিধার ঝুঁকিতে থাকা এবং ঝুঁকিতে থাকা শিশুদের মধ্যে কার্যকর স্মৃতি এবং গাণিতিক সমস্যা সমাধানের মধ্যে সম্পর্ক"। শিক্ষাগত মনোবিজ্ঞান জার্নাল, ৯৬, ৪৭১–৪৯১।
সোয়ানসন, এইচ এল (২০০৩)। "শেখার অক্ষম এবং দক্ষ পাঠকদের কাজের মেমরিতে বয়স-সম্পর্কিত পার্থক্য"। পরীক্ষামূলক শিশু মনোবিজ্ঞান জার্নাল, ৮৫, ১–৩১।
{{সূত্র তালিকা}}
hqnn4zal0kmqz95rli0pu1bhjuu1rih
84670
84667
2025-06-17T19:21:36Z
NusJaS
8394
/* গণিত শেখা ও শেখানোর ওপর প্রভাব ফেলা উপাদান */
84670
wikitext
text/x-wiki
গণিতের বিভিন্ন শাখা রয়েছে যেমন জ্যামিতি, বীজগণিত, ক্যালকুলাস এবং সম্ভাব্যতা; প্রতিটি ক্ষেত্রেই রয়েছে বিশেষ ধরনের ধারণা ও পদ্ধতির দক্ষতা অর্জনের প্রয়োজন। শিক্ষাদান এবং শেখার ক্ষেত্রে যে চ্যালেঞ্জগুলো থাকে, তা বোঝা ও অতিক্রম করা যায় জ্ঞানীয় প্রক্রিয়ার বিশ্লেষণের মাধ্যমে। এই অধ্যায়ে আমরা গণিত শিক্ষায় প্রাসঙ্গিক জ্ঞানীয় তত্ত্ব ও গবেষণা পর্যালোচনা করব। আমরা পাইজেটের জ্ঞানীয় বিকাশ তত্ত্বের প্রাসঙ্গিক দিকগুলো এবং এই তত্ত্বের সমালোচনা আলোচনা করব। আমরা ব্যাখ্যা করব কীভাবে বিভিন্ন বিষয় একজন শিক্ষার্থীর গণিত শেখার সক্ষমতাকে প্রভাবিত করে এবং কীভাবে শিক্ষকরা পাঠ পরিকল্পনার সময় এই বিষয়গুলো বিবেচনায় নিতে পারেন।
==গণিত কী?==
গণিত হলো সংখ্যা, পরিমাণ, জ্যামিতি এবং স্থান ও এদের পারস্পরিক সম্পর্ক এবং কার্যাবলীর অধ্যয়ন। এটি '''ধারণাগত, প্রক্রিয়াগত এবং ঘোষণামূলক জ্ঞান'''-এর সংমিশ্রণ ব্যবহার করে।<ref>Wong, B., Graham, L., Hoskyn, M., & Berman, J. (Eds.). (2008). ''The ABCs of learning disabilities'' (2nd ed.). Boston: Elsevier Academic Press. </ref> গণিত সমস্যার সফল সমাধানের জন্য শিক্ষার্থীদের এই জ্ঞানসমষ্টি অর্জন করতে হয়। গণিতে সঠিকভাবে সম্পৃক্ত হওয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের আগে ধারণাগত জ্ঞান অর্জন করতে হবে, যার জন্য পূর্বে শেখা ধারণাগুলোর প্রয়োগ দরকার হয়। গণিতের ধারণাগত জ্ঞান অন্য সব গণিত-সম্পর্কিত দক্ষতার উন্নয়নে সহায়তা করে যেমন: ইতিবাচক মনোভাব, প্রক্রিয়াগত দক্ষতা, কৌশলগত পারদর্শিতা এবং অভিযোজিত যুক্তিশক্তি। একটির বিকাশ অন্যগুলোকেও শক্তিশালী করে এবং এতে সামগ্রিক জ্ঞান বৃদ্ধি পায়। অর্থাৎ, ধারণাগত জ্ঞান প্রক্রিয়াগত জ্ঞানকে সমৃদ্ধ করে, এবং এই ধারাটি চলতে থাকে।<ref>Bruning, R., Schraw, G., & Norby, M. (2011). ''Cognitive Psychology and Instruction'' (5th ed.). Boston: Pearson Education.</ref> উদাহরণস্বরূপ, গণিতে অনেক ধরনের অ্যালগরিদম রয়েছে যেগুলো শিক্ষার্থীদের জানা প্রয়োজন। যখন শিক্ষার্থীরা গণিতের মূলনীতি ও ধারণাগুলো পরিষ্কারভাবে বুঝতে পারে, তখন তারা যেকোনো সমস্যার জন্য যথাযথ অ্যালগরিদম বেছে নিয়ে তা প্রয়োগ করতে সক্ষম হয়। এটি ধারণাগত ও প্রক্রিয়াগত জ্ঞানের সংযোগ নির্দেশ করে কারণ শিক্ষার্থীরা অনেক কৌশল শিখলেও সঠিকটি বেছে নেওয়া এবং তা প্রয়োগ করাই মূল বিষয়।<ref>Bruning, R., Schraw, G., & Norby, M. (2011). ''Cognitive Psychology and Instruction'' (5th ed.). Boston: Pearson Education.</ref> এছাড়াও, জটিল গণিত সমস্যার সমাধানে কোনো প্রক্রিয়া সফল হলে বা ব্যর্থ হলে শিক্ষার্থীরা প্রায়ই সেখান থেকে আরও শিখতে পারে। ভুলের মাধ্যমে আত্ম-প্রশ্ন করে তারা নিজের বিদ্যমান জ্ঞান পুনর্গঠন করতে পারে এবং ফলে তাদের ধারণাগত জ্ঞান বৃদ্ধি পায়। ঘোষণামূলক জ্ঞান ধারণাগত ও প্রক্রিয়াগত জ্ঞানের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত কারণ এতে শিক্ষার্থীদের দীর্ঘমেয়াদি স্মৃতি থেকে ধারণা (ধারণাগত জ্ঞান) ও নির্দিষ্ট অ্যালগরিদম (প্রক্রিয়াগত জ্ঞান) পুনরুদ্ধার করতে হয়। এই তিনটি ক্ষেত্রের যেকোনো একটির ঘাটতি গণিত শেখায় অসুবিধা সৃষ্টি করতে পারে।<ref>Wong, B., Graham, L., Hoskyn, M., & Berman, J. (Eds.). (2008). ''The ABCs of learning disabilities'' (2nd ed.). Boston: Elsevier Academic Press.</ref> সুতরাং, এই তিন ধরনের জ্ঞানের সংমিশ্রণ একে অপরের সঙ্গে সংযুক্ত থাকায় তা শিক্ষার প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করে।
==জ্ঞানীয় তত্ত্ব এবং গণিত==
===পাইজেটের জ্ঞানীয় বিকাশ তত্ত্ব===
জঁ পাইজেট জন্ম থেকে কৈশোর পর্যন্ত জ্ঞানীয় বিকাশকে চারটি ধাপে ভাগ করেছেন: সংবেদনশীল গতি (জন্ম থেকে ২ বছর), প্রাক-পরিচালন (প্রায় ২ থেকে ৭ বছর), কংক্রিট অপারেশনাল (প্রায় ৭ থেকে ১১ বছর), এবং ফর্মাল অপারেশনাল (প্রায় ১১ থেকে ১৫ বছর)। যদিও সবাই এই ধাপগুলোতে ভিন্নভাবে অগ্রসর হয়, পাইজেট বিশ্বাস করতেন প্রতিটি শিশু পর্যায়ক্রমে প্রতিটি ধাপ অতিক্রম করবে এবং কেউ কোনো ধাপ বাদ দেবে না কারণ পূর্ববর্তী ধাপ না শেখা পর্যন্ত পরবর্তী ধাপে যাওয়া সম্ভব নয়; সময়ের বিষয় মাত্র।<br />
পাইজেট আরও বলেন, শিশুর শেখা মূলত জন্ম থেকে ২ বছর পর্যন্ত চলাফেরা ও পাঁচটি ইন্দ্রিয়ের মাধ্যমে গঠিত হয়। জন্মের কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই শিশু বস্তু অনুসরণ এবং ধরার চেষ্টা শুরু করে, যা চোখ ও চলন সংক্রান্ত মস্তিষ্কের অংশগুলোকে বিকশিত করতে সাহায্য করে। একবার শিশু বুঝে যায় যে শেখা পুনরাবৃত্তির মাধ্যমে হয়, তখন তারা নিজেরা পরিকল্পনা করে কাঙ্ক্ষিত বস্তু পেতে দক্ষ উপায়ে কাজ করে। পাইজেট দাবি করেন যে এই পর্যায়ে শিশুরা সংখ্যাকে বস্তুর সঙ্গে সংযুক্ত করতে পারে<ref>Piaget, J. (1977). Epistemology and psychology of functions. Dordrecht, Netherlands: D. Reidel Publishing Company.</ref> এবং এমনও প্রমাণ আছে যে শিশুরা সংখ্যার ধারণা ও গণনার কিছু ধারণা ইতোমধ্যেই অর্জন করে<ref>Fuson, K. C. (1988). Children’s counting and concepts of numbers. New York: Springer.</ref>। এই পর্যায়ে শিশুদের গণিত দক্ষতা গঠনের জন্য শিক্ষকরা এমন কার্যক্রম দিতে পারেন যাতে সংখ্যা ও গণনা যুক্ত থাকে। যেমন, ছবি যুক্ত বই পড়ানো যেতে পারে। এতে শিশুরা বস্তুর ছবি ও সংশ্লিষ্ট সংখ্যার মধ্যে সম্পর্ক তৈরি করতে শিখবে এবং পড়া ও অনুধাবন ক্ষমতাও বাড়বে। এই সময়ে পাইজেট দেখিয়েছেন যে শিশুরা নিজেরাই বস্তু ও জ্ঞানের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করতে পারে, যা বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশে সহায়তা করে।<ref>Piaget, J. (1963). The origins of intelligence in children. New York, NY: W.W. Norton & Company, Inc.</ref> যেহেতু পাইজেট মনে করতেন, একজন ব্যক্তির আগে অর্জিত জ্ঞানের ওপর ভিত্তি করে পরবর্তী ধাপে যেতে হয়, তাই সংখ্যা সম্পর্কে শিশুদের বোঝাপড়া বাড়ানোর জন্য এমন কার্যক্রমের মাধ্যমে গণিতের ভিত্তি তৈরি করা উচিত যাতে গণনা অন্তর্ভুক্ত থাকে।<br />
প্রায় ২ থেকে ৭ বছর বয়সে শিশুরা ভাষা, প্রতীকী চিন্তা, আত্মকেন্দ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি এবং সীমিত যৌক্তিকতা অর্জন করে। এই সময়ে তারা সংখ্যা বা ব্লকের মতো বস্তুর মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করতে শেখে। যদিও তারা সংখ্যার কিছু ধারণা অর্জন করে, তবে তাদের যৌক্তিক ক্ষমতা সীমিত থাকে এবং তারা বিপরীত ক্রমে কার্য পরিচালনা করতে পারে না। যেমন, যারা বুঝতে পারে ৫+৩ = ৮, তারা বুঝতে নাও পারে ৩+৫ = ৮। পাইজেটের মতে, কারণ তারা কোনো একটি দিক বুঝলে অন্য দিক হারিয়ে ফেলে। এই সময়ে শিক্ষকেরা শিশুদের দিয়ে নির্দিষ্ট গঠন তৈরি করতে পারে ব্লক দিয়ে। এতে তারা একজাতীয় বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে গোষ্ঠীভুক্ত করতে শিখবে এবং বুঝবে একাধিক উপায়ে এটি তৈরি করা যায়।<ref>Thompson, C. S. (1990). Place value and larger numbers. In J. N. Payne (Ed.), Mathematics for young children (pp. 89–108). Reston, VA: National Council of Teachers of Mathematics.</ref> <br />
৭ থেকে ১১ বছর বয়সে শিশুরা জ্ঞানীয়ভাবে দ্রুত বিকশিত হয়। তারা একাধিক দিক বা মাত্রা বুঝতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, পাইজেট একটি পরীক্ষায় একই পরিমাণ তরলকে ভিন্ন আকারের বোতলে ঢেলে দেখিয়েছিলেন — এই পর্যায়ের শিশুরা বুঝতে পারে তরলের উচ্চতা কেন পরিবর্তন হয়। এই সময়ে ‘শ্রেণিবিন্যাস’ ও ‘সিরিয়েশন’-এর দক্ষতা গড়ে ওঠে<ref>Piaget, J. (1977). Epistemology and psychology of functions. Dordrecht, Netherlands: D. Reidel Publishing Company.</ref>। তারা একজাতীয় বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে বস্তু শ্রেণিবদ্ধ করতে শেখে এবং বৃদ্ধিপ্রাপ্ত বা হ্রাসপ্রাপ্ত মান অনুযায়ী সাজাতে শেখে। যদিও এই পর্যায়ে তারা মৌলিক গণনাগুলো জানতে পারে, তবে বাস্তব সমস্যায় তা প্রয়োগ করতে পারে না। যেমন, ৩টি সারিতে ৫টি ব্লক দিয়ে তৈরি গঠনের সংখ্যা গণনা করতে বললে, তারা গুণের ধারণা ব্যবহার করে না। অর্থাৎ, এই সময়ে তাদের গাণিতিক ধারণাগুলো বাস্তব বস্তুর সঙ্গে সংযুক্ত থাকতে হয়। তারা এখনো পরিমাপের উপর ভিত্তি করে সুনির্দিষ্ট পদ্ধতি তৈরি করতে সক্ষম নয়।<br />
১১ থেকে ১৫ বছর বয়সে শিশুরা নিজেরাই তত্ত্ব তৈরি করতে এবং গণিতের ধারণা গঠন করতে পারে। তারা বিমূর্ত ধারণাকে বাস্তব পরিস্থিতির সঙ্গে মিলিয়ে নিতে পারে। যেমন, তারা এখন অ্যালজেব্রার একটি সমস্যা নিজে নিজে সমাধান করতে পারে, যেখানে আগে শিক্ষককে বাস্তব উদাহরণ দিতে হতো। তারা কারণ নির্ণয়, ব্যাখ্যা, বিশ্লেষণ এবং প্রয়োগ করতে শেখে। শিক্ষকেরা তাদের শেখাতে পারেন কীভাবে শব্দের সমস্যা বিশ্লেষণ করতে হয় এবং কোন তথ্য প্রাসঙ্গিক আর কোনটা নয় তা বোঝাতে হয়।<br />
পাইজেট মনে করতেন, যদি কোনো শিশু কোনো ধারণা বুঝতে ব্যর্থ হয়, তবে সেটির কারণ হচ্ছে সমস্যা থেকে সরাসরি গাণিতিক রূপান্তরে যাওয়ার চেষ্টা। তার মতে, শিশুদের শেখাতে হলে এমন পদ্ধতি নিতে হবে যা তাদের নিজে আবিষ্কার করতে উৎসাহ দেয়, যাতে তারা নিজেরাই ধারণা গড়ে তুলতে পারে, পরিবর্তে শিক্ষক তাদের সরাসরি উত্তর না দিয়ে। <ref>Piaget, J. (1968). Genetic epistemology. New York, NY: Columbia University Press Retrieved June 13, 2003 from the World Wide Web: http://www.marxists.org/reference/subject/philosophy/works/fr/piaget.htm</ref>
=== পাইগেট তত্ত্বের সমালোচনা ===
{| class="wikitable"
!পাইগেটের জ্ঞানীয় বিকাশের বিশ্বাস
!সমালোচনা
|-
|১) শিশুরা বস্তুর স্থায়িত্ব বোঝার বিকাশ শুরু করে
|
* পাইগেট শিশুদের অনুপ্রেরণার প্রয়োজনীয়তা উপেক্ষা করেছিলেন
* শিশুদের স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়
|-
|২) শিশুদের সংবেদনশীল ক্ষমতা এবং জ্ঞানীয় বিকাশ তাদের জন্মের প্রথম ৬ মাসের মধ্যে ঘটে
|
* সমস্ত শিক্ষার্থী একই নয়, তাদের অনন্য দক্ষতার ভিত্তিতে তাদের উচ্চতর বা নিম্ন বিভাগে স্থাপন করা যেতে পারে
|-
|৩) প্রতিটি শিশু একটি নির্দিষ্ট ক্রমে চারটি পর্যায়ের অভিজ্ঞতা অর্জন করবে
|
* পাইগেট বংশগতি, সংস্কৃতি এবং শিক্ষার মতো বাহ্যিক কারণগুলোকে অবহেলা করেছিলেন
|-
|৪) পাইগেট জ্ঞানীয় বিকাশকে নির্দিষ্ট পর্যায়ে পৃথক করে
|
* জ্ঞানীয় বিকাশের পর্যায়গুলো ধীরে ধীরে এবং ক্রমাগত অগ্রগতি হিসাবে দেখা উচিত
|}
যদিও আধুনিককালে শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের জ্ঞানীয় বিকাশ পর্যবেক্ষণের জন্য পাইগেটের তত্ত্ব ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়, তবুও এ নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। অনেক শিক্ষাবিদ পাইগেটের তত্ত্বের উপর নির্ভর করে শিক্ষার্থীদের গাণিতিক শিক্ষার উপযুক্ততা পরিমাপ করেন। অন্যদিকে, হিবার্ট ও কার্পেন্টার মত দিয়েছেন যে, পাইগেটের তত্ত্ব তেমন কার্যকর নির্দেশনা নয়, কারণ বহু গবেষণায় প্রমাণ হয়েছে যে, অনেক শিশু যারা পাইগেটের তত্ত্ব অনুসরণ করতে পারে না, তারাও গাণিতিক ধারণা ও দক্ষতা অর্জনে সক্ষম।<ref>Hiebert, J., and T. P. Carpenter. "Piagetian Tasks as Readiness Measures in Mathematics Instruction: A CriticalReview." EDUCATIONAL STUDIES IN MATHEMATICS 13: 329-345, 1982</ref>
পাইগেট যেখানে শিশুর অভ্যন্তরীণ জ্ঞান অনুসন্ধানের উপর গুরুত্ব দেন এবং বিশ্বাস করতেন যে, জন্ম থেকে দুই বছর পর্যন্ত শিশু বস্তু স্থায়ীত্ব (যেমন: লুকানো বস্তু খোঁজার ধারণা) শেখে, অন্য গবেষকরা বলেন, পাইগেট শিশুদের প্রেরণার প্রয়োজনীয়তাকে অবহেলা করেছেন। বার্গার মনে করেন বাহ্যিক প্রেরণা ও শিক্ষাও গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলে।<ref>Berger, K.S. (1988). The developing person through the life span (2nd ed.). New York: Worth Publishers Ltd.</ref>
ক্যাগান বিশ্বাস করেন, শিশু যখন স্থান পরিবর্তনের পরও বস্তু স্পর্শ করতে পারে, এর পেছনের কারণ তাদের মস্তিষ্কের স্মৃতি ধারণক্ষমতার বৃদ্ধি, পাইগেটের ধারণার মতো নতুন কোনো জ্ঞানীয় গঠনের কারণে নয়।<ref>Berger, K.S. (1988). The developing person through the life span (2nd ed.). New York: Worth Publishers Ltd.</ref>
পাইগেটকে সমালোচনা করা হয়েছে শিশুদের সামর্থ্য নিয়ে অতিরিক্ত সাধারণায়নের জন্য। তিনি সিদ্ধান্তে এসেছিলেন, শিশুর সংবেদনশীলতা ও জ্ঞানীয় বিকাশ জন্মের প্রথম ছয় মাসেই ঘটে। যদিও পাইগেট বিশ্বাস করতেন, প্রতিটি শিশু নির্দিষ্ট ধাপে নির্দিষ্ট ক্রমে অগ্রসর হয়, হেউভেল-পানহুইজে বলেন, পাইগেটের তত্ত্ব ছোট শিশুদের সামর্থ্যকে অবমূল্যায়ন করে। উদাহরণস্বরূপ, তিনি দেখান যে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষকেরা যদি শুধুমাত্র পাইগেটের ধাপভিত্তিক তত্ত্বে বিশ্বাস করেন, তবে তারা শিশুদের প্রতীকের জ্ঞান, গণনার ক্রম ও গাণিতিক ক্রিয়ার সামর্থ্য সম্পর্কে ভুল ধারণা পোষণ করতে পারেন।<ref>Cross, C. (2009). The Early Childhood Workforce and Its Professional Development. In Mathematics learning in early childhood paths toward excellence and equity. Washington, DC: National Academies Press.</ref>
বার্গার আরও বলেন, শিশুদের পার্সেপচুয়াল শেখা (ধারণাগত শেখা) জন্মের আগেই শুরু হতে পারে।<ref>Berger, K.S. (1988). The developing person through the life span (2nd ed.). New York: Worth Publishers Ltd.</ref> যদিও একটি নির্দিষ্ট বয়স অনুযায়ী একটি শিশু নির্দিষ্ট ধাপে থাকবে, তবুও সব শিক্ষার্থী একরকম নয়। তাদের স্বতন্ত্র দক্ষতার ভিত্তিতে তারা হয়তো কোনো উচ্চতর বা নিম্নতর ধাপে অবস্থান করতে পারে।
উদাহরণস্বরূপ, গেলম্যান ও গ্যালিস্টেল দেখান যে, প্রিপারেশনাল ধাপে থাকা শিশুরাও বস্তু গণনার ক্ষেত্রে বিমূর্ত চিন্তা করতে পারে। এছাড়াও, পাইগেট শিশুদের আবেগ ও ব্যক্তিত্ব বিকাশ নিয়ে স্পষ্ট কোনো ধারণা দেননি। যদিও তিনি বুদ্ধিমত্তা ও স্মৃতিশক্তির বিকাশ মাপার কার্যকর পদ্ধতি ব্যাখ্যা করেছেন, তিনি সৃজনশীলতা ও সামাজিক যোগাযোগের গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো উপেক্ষা করেছেন।<ref>Papalia, D. E., Olds, S. W., and Feldman, R. D. (1998). Human development(7th ed.). Boston: McGraw-Hill.</ref>
ক্রিস্টিনা এর্নেলিং যুক্তি দেন যে, উন্নয়নের ধারা বোঝা সম্ভব যদি শিশুদের সঠিক পরিবেশে রাখা যায়। তার মতে, যেকোনো শেখার ধারণা বিশদ শিক্ষাতত্ত্বের উপর ভিত্তি করে হতে হবে এবং জ্ঞানীয় বিকাশ বোঝার জন্য ব্যক্তির সামাজিক ও সাংস্কৃতিক পটভূমির ভিন্নতা স্বীকৃতি দিতে হবে। অর্থাৎ, পাইগেট সংস্কৃতির প্রভাব উপেক্ষা করেছেন। কারণ তার গবেষণা ছিল পশ্চিমা দেশে, তাই তার তত্ত্ব হয়তো শুধু পশ্চিমা সমাজ ও সংস্কৃতিকে প্রতিনিধিত্ব করে।
পাইগেটের মতে, বৈজ্ঞানিক চিন্তা ও আনুষ্ঠানিক চিন্তাশক্তি নির্দিষ্ট ধাপে পৌঁছেই বিকাশ পায়। অন্যদিকে, এডওয়ার্ডস ও অন্যান্য গবেষকরা বলেন, পাইগেটের গবেষণায় নিয়ন্ত্রণ ও নমুনার সীমাবদ্ধতার কারণে তার গবেষণা অবিশ্বস্ত। তারা বলেন, অন্যান্য সংস্কৃতিতে সাধারণ ধাপের অপারেশনগুলো বেশি গুরুত্ব পেতে পারে।<ref>Edwards, L., Hopgood, J., Rosenberg, K., & Rush, K. (2000). Mental Development and Education. Retrieved April 25, 2009, from Flinders University</ref>
বার্গার পাইগেটের নির্দিষ্ট ধাপের বিপক্ষে যুক্তি দেন। তিনি মনে করেন, পাইগেট শিশুদের অভ্যন্তরীণ জ্ঞানের সন্ধানকে গুরুত্ব দিলেও, বংশগতি, সংস্কৃতি ও শিক্ষার মতো বাহ্যিক বিষয়গুলো উপেক্ষা করেছেন। তিনি বলেন, পাইগেটের জ্ঞানীয় বিকাশের ধাপগুলোকে বরং একটানা ধাপে ধাপে অগ্রগতির মতো দেখা উচিত, নির্দিষ্ট করে ভাগ না করে।<ref>Berger, K.S. (1988). The developing person through the life span (2nd ed.). New York: Worth Publishers Ltd.</ref>
পাইগেটের তত্ত্বের আরও সমালোচনা হয়েছে, কারণ তার সর্বশেষ ধাপে জ্ঞানীয় বিকাশ যথেষ্ট স্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করা হয়নি। তিনি মনে করতেন, ১১ থেকে ১৫ বছর বয়সের মধ্যে সবাই বিমূর্ত যুক্তি বিকাশে সক্ষম হয়। অন্যদিকে, প্যাপালিয়া ও অন্যান্যরা বিশ্বাস করেন, সবাই এই সময়ে আনুষ্ঠানিক চিন্তাশক্তি অর্জন করতে পারে না, এবং তাতে তারা অপরিণত নয়—বরং তাদের চিন্তাভাবনার পরিপক্বতার ধরণ ভিন্ন।<ref>Papalia, D.E., Olds, S.W., & Feldman, R.D. (1998). Human development (7th ed.). Boston: McGraw-Hill.</ref>
অতএব, জ্ঞানীয় বিকাশকে বরং একটি অনিয়মিত প্রক্রিয়া হিসেবে বিবেচনা করা উচিত, যেখানে প্রতিটি শিশু ধাপে ধাপে নিজস্ব গুণাবলি ও আচরণগত দক্ষতা অর্জন করে।<ref>Berger, K.S. (1988). The developing person through the life span (2nd ed.). New York: Worth Publishers Ltd.</ref>
=== জ্ঞানীয় ক্ষেত্র= ===
পাইগেটের পর থেকে জ্ঞানীয় তত্ত্ব ও গাণিতিক শিক্ষার মধ্যে সম্পর্ক অনেকদূর এগিয়েছে। অসংখ্য গবেষণায় দেখা গেছে, বিভিন্ন জ্ঞানীয় দক্ষতা ও গাণিতিক দক্ষতার মধ্যে সম্পর্ক রয়েছে। ১৯৭৮ সালেই গবেষকেরা মস্তিষ্ক-সম্পর্কিত আচরণ ও একাডেমিক দক্ষতার মধ্যে সম্পর্ক খুঁজে পান। রাউর্ক ও ফিনলেসন ৯-১৪ বছর বয়সী শেখার অসুবিধায় ভোগা শিশুদের নিয়ে গবেষণা করে দেখান, যেসব শিশুর অ্যারিথমেটিক দক্ষতা নেই, তাদের ডান মস্তিষ্কের গোলার অকার্যকারিতার মতো আচরণ দেখা যায়।<ref>Rourke, B. P., & Finlayson, M. A. J. (1978). Neuropsychological significance of variations in patterns of academic skills: Verbal and visual-spatial abilities. Journal of Abnormal Child Psychology, 6, 121–133.</ref>
সম্প্রতিকালে আরও সূক্ষ্ম জ্ঞানীয় দক্ষতা ও গণিতে ঘাটতির মধ্যকার সম্পর্ক চিহ্নিত হয়েছে।
২০০১ সালে হ্যানিচ, জর্ডান, কাপলান ও ডিক ২য় শ্রেণির শিক্ষার্থীদের গাণিতিক পারফরম্যান্স বিশ্লেষণ করেন।<ref>Hanich, L. B., Jordan, N. C., Kaplan, D., & Dick, J. (2001) Performance across different areas of mathematical cognition in children with learning disabilities. Journal of Educational Psychology, 93, 615–626.</ref>
তারা শিক্ষার্থীদের চারটি দলে ভাগ করেন: সাধারণভাবে সফল শিক্ষার্থী, শুধুমাত্র গণিতে দুর্বল, শুধুমাত্র পড়ায় দুর্বল, এবং উভয় বিষয়ে দুর্বল। প্রত্যেককে সাতটি গাণিতিক পরীক্ষায় অংশ নিতে বলা হয়:
ক) নির্দিষ্ট গণনা খ) গল্পভিত্তিক সমস্যা গ) আনুমানিক গণনা ঘ) স্থানীয় মান ঙ) গণনার নীতি চ) সংখ্যা স্মরণ ছ) লিখিত গণনা।
তারা দেখেন, যারা গণনা ও পড়া উভয় ক্ষেত্রেই দুর্বল, তারা গল্প সমস্যা ও প্রচলিত গণনায় দুর্বল। তবে যারা শুধু গণিতে দুর্বল, তারা শুধু প্রচলিত গণনায় দুর্বলতা দেখায়। এ থেকে গবেষকেরা সিদ্ধান্তে আসেন, গণিতে একাধিক জ্ঞানীয় ক্ষেত্র রয়েছে এবং প্রতিটি ক্ষেত্র মস্তিষ্কের ভিন্ন প্রক্রিয়া ব্যবহার করে।
ফুচস, ফুচস, স্টুয়েবিং, ফ্লেচার, হ্যামলেট ও ল্যাম্বার্ট (২০০৮) লক্ষ্য করেন, প্রচলিত গণনার সফলতা নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ কিছু পূর্বাভাসদাতা হচ্ছে: ক) কর্মরত স্মৃতি খ) দৃশ্য-স্থানিক কর্মরত স্মৃতি গ) মনোযোগ রেটিং ঘ) ধ্বনিতাত্ত্বিক প্রক্রিয়াকরণ ঙ) শব্দভাণ্ডারের জ্ঞান<ref>Fuchs, L. S., Fuchs, D., Stuebing, K., Fletcher, J.M., Hamlett, C. L. , & Lambert, W. (2008). Problem solving and computational skill: Are they shared or distinct aspects of mathematical cognition? Journal of Educational Psychology 100 (1), 30</ref>
তারা এক দীর্ঘমেয়াদি, বৃহৎ পরিসরের গবেষণায় দেখেন, গণনা ও সমস্যার সমাধান—এই দুইটি গণিতের আলাদা ক্ষেত্র হতে পারে। তারা শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করেন: গণনায় দক্ষতা, শব্দ-সমস্যা সমাধান, ধ্বনি প্রক্রিয়া, অ-মৌখিক সমস্যা সমাধান, কর্মরত স্মৃতি, মনোযোগী আচরণ, প্রক্রিয়ার গতি, এবং পাঠ দক্ষতা ইত্যাদিতে। তারা দেখতে পান, মনোযোগী আচরণ ও প্রক্রিয়ার গতি গণনার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখে।
এছাড়াও, তারা লক্ষ্য করেন, কর্মরত স্মৃতি, স্বল্পমেয়াদি স্মৃতি, অ-মৌখিক সমস্যা সমাধান (যেমন দৃশ্যের মাধ্যমে প্যাটার্ন সম্পূর্ণ করা), ধারণা গঠন, এবং ভাষা দক্ষতা (যার মধ্যে পড়াও অন্তর্ভুক্ত) সমস্যা সমাধানের পূর্বাভাসদাতা। ভাষা দক্ষতার ঘাটতি সমস্যার সমাধানে দুর্বল শিক্ষার্থীদের মধ্যে পার্থক্যকারী একটি উপাদান।
==== প্রত্যেক জ্ঞানীয় গণিত ক্ষেত্রের জন্য মস্তিষ্কের প্রক্রিয়া ====
{| class="wikitable"
!গণনার জ্ঞানীয় দক্ষতা
!সমস্যা সমাধানের জ্ঞানীয় দক্ষতা
|-
|গণনার সফলতার পূর্বাভাসদাতা:
|সমস্যা সমাধানের সফলতার পূর্বাভাসদাতা:
|-
|• কর্মরত স্মৃতি
# শ্রবণক্ষম কর্মরত স্মৃতি
# দৃশ্য-স্থানিক কর্মরত স্মৃতি
• মনোযোগ রেটিং • প্রক্রিয়ার গতি • ভাষা দক্ষতা
# ধ্বনিতাত্ত্বিক প্রক্রিয়াকরণ (ধ্বনি শনাক্ত ও পার্থক্য করতে পারা)
# শব্দভাণ্ডার জ্ঞান
|• কর্মরত স্মৃতি
# শ্রবণক্ষম কর্মরত স্মৃতি
• স্বল্পমেয়াদি স্মৃতি • অ-মৌখিক সমস্যা সমাধান (দৃশ্যমান প্যাটার্ন সম্পূর্ণ করার দক্ষতা) • ধারণা গঠন • ভাষা দক্ষতা
# প্রথম ভাষা, সাংস্কৃতিক পার্থক্য
# ধ্বনি, শব্দভাণ্ডার
|}
=== গণিত শেখার ক্ষেত্রে কার্যকর স্মৃতির গুরুত্ব ===
'''কার্যকর স্মৃতি''' হলো একটি প্রক্রিয়া যা অস্থায়ীভাবে নতুন বা পূর্বে সঞ্চিত তথ্য ধারণ করে, যা বর্তমান কোনো কাজ সম্পন্ন করার জন্য ব্যবহৃত হয়। এর ধারণক্ষমতা সীমিত। কার্যকর স্মৃতির দুটি ধরণ রয়েছে: শ্রাব্য (auditory) স্মৃতি ও দৃশ্য-স্থানিক (visual-spatial) স্মৃতি। গণিতের গাণিতিক সমস্যার সমাধানের ক্ষেত্রে দৃশ্য-স্থানিক স্মৃতি গুরুত্বপূর্ণ বলে প্রমাণিত হয়েছে। অপরদিকে, শ্রাব্য স্মৃতি সব ধরনের গাণিতিক ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। ব্যক্তিভেদে কার্যকর স্মৃতির ধারণক্ষমতার পার্থক্য হতে পারে তথ্য প্রক্রিয়াকরণের গতি, ব্যক্তির জ্ঞান বা অপ্রাসঙ্গিক তথ্য উপেক্ষা করার দক্ষতার কারণে।<ref>Swanson, H. L., & Beebe-Frankenberger, M. (2004)...</ref> পরিকল্পনা, সংগঠন এবং নমনীয় চিন্তার মতো নির্বাহী কার্যক্রমগুলো কার্যকর স্মৃতিকে প্রভাবিত করতে পারে।<ref>Swanson, H. L. (2003)...</ref>
অন্যদিকে, '''স্বল্পমেয়াদী স্মৃতি''' দায়ী শুধুমাত্র অল্প সময়ের জন্য তথ্য ধারণ করার জন্য, যেগুলো ব্যবহার করতে হবে কিন্তু বিশ্লেষণ বা রূপান্তরের প্রয়োজন নেই। এর ধারণক্ষমতাও সীমিত এবং এটি কয়েক সেকেন্ডের মতোই স্থায়ী হতে পারে। যেমন, একটি টেলিফোন নম্বর আমরা কয়েক সেকেন্ড মনে রাখি শুধু তা ডায়াল করার জন্য।
২০০৪ সালে সোয়ানসন এবং বিবে-ফ্রাঙ্কেনবার্গারর একটি গবেষণায় উপসংহারে পৌঁছেছেন যে, কার্যকর স্মৃতি সমস্যার সমাধানকালে তথ্য একীভূতকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাদের মতে, কার্যকর স্মৃতি গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি "(ক) সম্প্রতি প্রক্রিয়াকৃত তথ্যকে নতুন ইনপুটের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করে এবং (খ) সামগ্রিকভাবে সমস্যার একটি উপস্থাপন গঠনের জন্য তথ্যের সারাংশ সংরক্ষণ করে।"<ref>Swanson, H. L., & Beebe-Frankenberger, M. (2004)...</ref>
এইচ লি সোয়ানসনের সাম্প্রতিক একটি গবেষণায় দেখা গেছে, কার্যকর স্মৃতির ধারণক্ষমতা সমস্যা সমাধানে কৌশলগত হস্তক্ষেপের প্রভাবকে নিয়ন্ত্রণ করে।<ref>Swanson, H. L. (August 4,2015)...</ref> লেখক একটি হস্তক্ষেপমূলক গবেষণা পরিচালনা করেন, যেখানে কার্যকর স্মৃতির ভূমিকা এবং কৌশল শেখানোর ফলে শব্দভিত্তিক সমস্যা সমাধানে সঠিকতা কেমন হয়, তা যাচাই করা হয়।
গবেষণায় সমস্ত শিশুদের শ্রাব্য ও দৃশ্য-স্থানিক কার্যকর স্মৃতির মাপ নেওয়া হয়। এরপর গণিতে সমস্যাযুক্ত এবং অপ্রতিবন্ধিত শিশুদের তিনটি গ্রুপে ভাগ করে র্যান্ডমাইজড কন্ট্রোল ট্রায়াল করা হয়। ১ম দলকে শব্দভিত্তিক কৌশল শেখানো হয়, ২য় দলকে দৃশ্য-স্থানিক কৌশল, এবং ৩য় দলকে উভয় কৌশলের সংমিশ্রণ শেখানো হয়। প্রতিটি দলকে এমন পাঠদান দেওয়া হয় যাতে শব্দ সমস্যা ক্রমাগত অপ্রাসঙ্গিক তথ্যে পরিপূর্ণ হতে থাকে। এই কৌশলের উদ্দেশ্য ছিল শিশুদের প্রাসঙ্গিক তথ্যের প্রতি মনোযোগী হতে শেখানো। পূর্ববর্তী অনেক গবেষণায় দেখা গেছে যে, প্রাসঙ্গিক ও অপ্রাসঙ্গিক তথ্য আলাদা করতে শেখা গণিত সমস্যার সঠিকতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ।
গবেষণার ফলাফল দেখায় যে, কৌশল শেখানো সমস্যা সমাধানে সাহায্য করে। তবে এটি মনে রাখা জরুরি যে, ব্যক্তিভেদে কার্যকর স্মৃতির ক্ষমতা কৌশল শেখানোর প্রভাবকে নিয়ন্ত্রণ করে। কম কার্যকর স্মৃতির শিশুরা তেমন উপকার পায়নি। বরং উচ্চ কার্যকর স্মৃতির শিশুরাই—যাঁদের গণিতে প্রতিবন্ধকতা থাকুক বা না থাকুক—এই কৌশল থেকে বেশি উপকার পেয়েছে। তবে, দৃশ্যগত কৌশল ব্যবহৃত হলে সব ধরনের গণিত প্রতিবন্ধী শিশুরাই উপকার পেয়েছে। কিন্তু যাঁদের কার্যকর স্মৃতি দুর্বল, তাঁদের জন্য শব্দ ও দৃশ্য উভয় কৌশলের সংমিশ্রণ প্রয়োজন। সবশেষে, গবেষণার ফলাফলে বলা হয়েছে যে, কার্যকর স্মৃতির উপর ভিত্তি করে মনোযোগ নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কিত প্রক্রিয়াগুলোর প্রশিক্ষণ ভবিষ্যতে কার্যকর স্মৃতির দক্ষতা উন্নত করতে পারে।
এই গবেষণার তাৎপর্য হলো, গণিতে প্রতিবন্ধকতাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের কার্যকর স্মৃতির ক্ষমতা যাচাই করে তার ভিত্তিতে উপযুক্ত শিক্ষণ কৌশল নির্ধারণ করা উচিত।
== গণিত শেখা ও শেখানোর ওপর প্রভাব ফেলা উপাদান ==
=== ব্যক্তিভেদে পার্থক্য ===
প্রত্যেক শিক্ষার্থীর আলাদা দক্ষতা, পূর্বজ্ঞান, সংস্কৃতি এবং আগ্রহ থাকে। এই বিষয়গুলো গণিত শেখা ও শেখানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ কারণ পাঠদানের কৌশলগুলো শিক্ষার্থীদের অনুযায়ী পরিবর্তন করতে হয়।
==== দক্ষতার পার্থক্য ====
সব শিক্ষার্থীর নিজস্ব শক্তি ও দুর্বলতা থাকে। কেউ কোনো নির্দিষ্ট গাণিতিক ক্ষেত্রে ভালো হলেও, অন্য ক্ষেত্রে দুর্বল হতে পারে। শিক্ষকের উচিত শিক্ষার্থীদের দক্ষতা সম্পর্কে জানা, যাতে তাদের শক্তিকে কাজে লাগিয়ে দুর্বলতাকে উন্নত করা যায়। যদি শিক্ষক শিক্ষার্থীদের দক্ষতা ও দুর্বলতা না জানেন, তবে ভুলভাবে চ্যালেঞ্জ তৈরি হতে পারে, যেটা শিক্ষার্থীর আত্মবিশ্বাস কমিয়ে দিতে পারে এবং ব্যর্থতা থেকে "শিক্ষিত অসহায়ত্ব" তৈরি করতে পারে। সঠিক দক্ষতা জানা থাকলে নতুন গাণিতিক জ্ঞান অর্জনে শিক্ষার্থীদের অসুবিধা হবে না।
উদাহরণস্বরূপ, শব্দ সমস্যা সমাধানের জন্য প্রয়োজন মানসিক উপস্থাপনা ও সাধারণ গাণিতিক রূপান্তর। ফলে, যারা গাণিতিক সমীকরণ গঠন করতে জানে না, তারা এই সমস্যা সমাধানে ব্যর্থ হবে।<ref>Wong, B., Graham, L., Hoskyn, M., & Berman, J. (Eds.). (2008)...</ref> শিক্ষকের উচিত শিক্ষার্থীদের প্রাক-দক্ষতার ওপর ভিত্তি করে পাঠদান কৌশল নির্ধারণ করা, কারণ এই দক্ষতাগুলো সমস্যার সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। শিক্ষার্থীরা যত বেশি ধারণাগত ও প্রক্রিয়াগত দক্ষতা অর্জন করবে, ততই তারা গণিত শেখায় দক্ষ হয়ে উঠবে।<ref>Bruning, R., Schraw, G., & Norby, M. (2011)...</ref>
বর্তমান হাইস্কুলে বিভিন্ন স্তরের গণিত কোর্স থাকে—শুরুর, মূল এবং উন্নত স্তর। শিক্ষার্থীদের নিজস্ব দক্ষতার ভিত্তিতে বিভাগ করা হয় বা তারা নিজেরা স্তর বেছে নিতে পারে। শিক্ষককে উচিত শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা যে তারা সেই স্তরের উপযোগী কিনা। খুব কঠিন হলে শিক্ষার্থী ক্লান্ত হয়ে পড়বে, আবার খুব সহজ হলে বিরক্ত হবে। সঠিক স্তর নির্ধারণের জন্য দক্ষতা জানা আবশ্যক।
==== পূর্বজ্ঞানগত পার্থক্য ====
শিক্ষার্থীদের গাণিতিক জ্ঞান তাদের সামাজিক অভিজ্ঞতা থেকে আসে। বাস্তব জীবনের অভিজ্ঞতা যেমন বাজারে কেনাকাটা করার মাধ্যমে টাকা-পয়সা মেলানো শেখা, গাণিতিক প্রতীক কীভাবে ব্যবহার হয়, সেটা বুঝতে সাহায্য করে। এই বাস্তব জ্ঞান ব্যবহার করে যদি গাণিতিক ধারণা শেখানো হয়, তাহলে শিক্ষার্থীরা সহজে তা বুঝতে পারে।<ref>Wong, B., Graham, L., Hoskyn, M., & Berman, J. (Eds.). (2008)...</ref> বাস্তব পরিস্থিতির সঙ্গে মিল থাকলে শিক্ষার্থীরা গণিত শেখায় বেশি আগ্রহী হয়, কারণ এটি তাদের কাছে অর্থবহ ও প্রাসঙ্গিক মনে হয়। উদাহরণস্বরূপ, পাঠ্যবইয়ের গণিত অনেক শিক্ষার্থীর কাছে বিরক্তিকর মনে হতে পারে, কিন্তু যদি তা ব্যাংকে সুদের হিসাব বা দৈনন্দিন খরচ হিসাবের মতো জীবনের সঙ্গে মেলানো হয়, তাহলে তা সহজ ও আকর্ষণীয় মনে হয়।
গুরুত্বপূর্ণ গণিত সমস্যার জন্য শুধু গণিত নয়, পদার্থবিদ্যা বা রসায়নের মতো বিষয়ের জ্ঞানও প্রয়োজন হতে পারে।<ref>Bruning, R., Schraw, G., & Norby, M. (2011)...</ref> শব্দ সমস্যার ক্ষেত্রে পাঠ্যাংশ বুঝতে ভাষাগত দক্ষতাও প্রয়োজন, যা পূর্বজ্ঞান থেকে আসে। বিশ্ববিদ্যালয় স্তরের অনেক গণিত কোর্সে পূর্বশর্ত কোর্স থাকে, কারণ উন্নত গণিত শেখার জন্য প্রাথমিক ধারণা থাকা আবশ্যক।
==== আগ্রহের পার্থক্য ====
সবার আগ্রহ আলাদা। কেউ গণিত পছন্দ করে কারণ ছোটবেলা থেকেই তারা এই বিষয়ে শক্তিশালী ছিল, আবার কেউ ঘৃণা করে কারণ বারবার ব্যর্থ হয়েছে। আগ্রহ থাকলে অভ্যন্তরীণ মোটিভেশন তৈরি হয় এবং শিক্ষার্থী নিজের ইচ্ছায় গণিত শেখে।<ref>Bruning, R., Schraw, G., & Norby, M. (2011)...</ref> এতে শিক্ষার্থীরা কাজের প্রতি মনোযোগী হয় এবং সমাধানে আন্তরিকতা দেখায়। তাদের আগ্রহ নিজের সামর্থ্য, আত্মবিশ্বাস এবং অর্জনের সঙ্গে জড়িত।<ref>Upadyaya, K., & Jacquelynne, S. E. (2014). How do Teachers’ Beliefs predict Children’s Interests in Math from Kindergarten to Sixth Grade? ''Merrill-Palmer Quarterly, 60''(4). Retrieved from http://web.b.ebscohost.com.proxy.lib.sfu.ca/ehost/pdfviewer/pdfviewer?sid=aaa92fa2-22f8-4cd7-9d94-49896f602e89%40sessionmgr120&vid=0&hid=109</ref>
তাই, শিক্ষার্থীদের একাডেমিক সাফল্য বাড়ানোর জন্য তাদের মধ্যে গণিতের প্রতি আগ্রহ তৈরি করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রকৃতপক্ষে, পরিবারের সদস্য, সহপাঠী এবং শিক্ষকসহ অনেক উপায়ে গণিতের প্রতি আগ্রহ বাড়ানো যায়।<ref>Frenzel, A.C., Goets T., Pekrun R., & Watt, H.M.G. (2010). Development of Mathematics Interest in Adolescence: Influences of Gender, Family and School Context. ''Journal of Research on Adolescence, 20''(2), 507-537. doi:10.1111/j.1532-7795.2010.00645.x</ref>
পরিবারের সদস্যরা ঘরে বসেই শিক্ষার্থীদের গণিতে সহায়তা ও উৎসাহ দিতে পারেন, যা গণিতের প্রতি তাদের মূল্যবোধ বাড়ায়। শিক্ষার্থীরা সাধারণত সামাজিক তুলনা করতে ভালোবাসে এবং তারা সহপাঠীদের অনুসরণ করতে চায়। তাই সহপাঠীদের প্রভাব শিক্ষার্থীদের ওপর বড় ভূমিকা রাখে। যখন শিক্ষার্থীরা দেখে তাদের সহপাঠীরা সুদোকু বা ধাঁধার মতো কোনো গণিতের সমস্যা উপভোগ করছে, তখন তারাও সমাধানে আগ্রহী হয়ে ওঠে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণভাবে, শিক্ষকরা শ্রেণিকক্ষে আনন্দদায়ক ও ইন্টারঅ্যাকটিভ গেমের আয়োজন করতে পারেন এবং শেখানোর সময় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে পারেন।<ref>Frenzel, A.C., Goets T., Pekrun R., & Watt, H.M.G. (2010). Development of Mathematics Interest in Adolescence: Influences of Gender, Family and School Context. ''Journal of Research on Adolescence, 20''(2), 507-537. doi:10.1111/j.1532-7795.2010.00645.x</ref> এটি এমন একটি বিষয় শেখার আগ্রহ তৈরি করবে, যা আগে শিক্ষার্থীরা উপভোগ করতো না। ফলে, শিক্ষকদের উচিত শিক্ষার্থীদের শেখার জন্য আনন্দদায়ক পরিবেশ তৈরি করা যাতে গণিতের প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধি পায়। যদি শিক্ষার্থীরা গণিতকে ঘৃণা করে, তবে তাদের শেখানো অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়ে। তারা তখন কেবল বাধ্য হয়ে পড়ে, আগ্রহ নিয়ে নয়।
==== সাংস্কৃতিক পার্থক্য ====
বিভিন্ন সাংস্কৃতিক পটভূমি থেকে আসা শিক্ষার্থীদের একাডেমিক সাফল্যের স্তর ও লক্ষ্য ভিন্ন হয়ে থাকে।<ref>Tsao, Y-L. (2004). A Comparison of American and Taiwanese Students: Their Math Perception. ''Journal of Instructional Psychology, 31''(3). Retrieved from http://web.b.ebscohost.com.proxy.lib.sfu.ca/ehost/pdfviewer/pdfviewer?sid=97c91599-4222-4cc8-8717-703e6b774b06%40sessionmgr110&vid=19&hid=109</ref> তদুপরি, তাদের সংস্কৃতির ওপর ভিত্তি করে গণিতের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি ভিন্ন হতে পারে। যখন কোনো সংস্কৃতি কোনো বিষয়ে যেমন গণিতে বিশেষ গুরুত্ব দেয়, তখন সেই সংস্কৃতির শিশুদের ছোটবেলা থেকেই স্কুল ও বাড়িতে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। ফলে, এদের গণিতের দক্ষতা তুলনামূলকভাবে বেশি হয়। যারা নিয়মিত গণিত চর্চা করে, তাদের অটোমেটিসিটি (স্বয়ংক্রিয়ভাবে সমাধান করার ক্ষমতা) বেশি হয় কারণ তারা বিভিন্ন গণিত সমস্যার যথেষ্ট অনুশীলন করে। তারা উপযুক্ত কৌশল বেছে নিয়ে দ্রুত সমস্যার সমাধান করতে পারে।<ref>Imbo, I., & LeFevre, Jo-Anne. (2009). Cultural differences in Complex Addition: Efficient Chinese versus Adaptive Belgians and Canadians. ''Journal of Experimental Psychology: Learning, Memory, and Cognition, 35''(6),1465-1476. doi:10.1037/a0017022</ref> অন্যদিকে, যদি কোনো সংস্কৃতি গণিতকে গুরুত্ব না দেয়, তবে সেই সংস্কৃতির শিশুরা কঠোরভাবে শেখে না এবং তাদের দক্ষতার স্তরও কম হয়। কোনও বিষয়ে ভালো করতে হলে স্কুলের পাশাপাশি বাড়িতেও চর্চা করা প্রয়োজন। যারা শুধুমাত্র স্কুলেই গণিত শেখে এবং বাড়িতে সক্রিয়ভাবে চর্চা করে না, তাদের অনুশীলন পর্যাপ্ত নয়। সেইসঙ্গে, এমন সংস্কৃতি যেখানে উচ্চ মান, পরিশ্রম, এবং ইতিবাচক মনোভাবকে মূল্য দেওয়া হয়, সেগুলোর শিক্ষার্থীদের একাডেমিক সাফল্যের সম্ভাবনা বেশি থাকে।<ref>Imbo, I., & LeFevre, Jo-Anne. (2009). Cultural differences in Complex Addition: Efficient Chinese versus Adaptive Belgians and Canadians. ''Journal of Experimental Psychology: Learning, Memory, and Cognition, 35''(6),1465-1476. doi:10.1037/a0017022</ref>
বিভিন্ন সংস্কৃতির ভাষাও ভিন্ন। এর অর্থ, তারা গণিত সমস্যা প্রকাশের ধরনেও পার্থক্য থাকতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে, চীনা সংখ্যার ভাষাগত কাঠামো (যেমন ১৫ মানে "দশ-পাঁচ") ইংরেজির তুলনায় শেখা সহজ। ইংরেজিতে যেমন 12 মানে "twelve" এবং -teen শব্দগুলোর মধ্যে ধারাবাহিকতা থাকে না।<ref>Imbo, I., & LeFevre, Jo-Anne. (2009). Cultural differences in Complex Addition: Efficient Chinese versus Adaptive Belgians and Canadians. ''Journal of Experimental Psychology: Learning, Memory, and Cognition, 35''(6),1465-1476. doi:10.1037/a0017022</ref> চীনা সংখ্যা উচ্চারণ করা ইংরেজির তুলনায় দ্রুত হয়, যা শিক্ষার্থীদের গণিত দক্ষতাকে প্রভাবিত করে। ফলে, চীনা ভাষায় সংখ্যাগুলো স্বল্প-মেয়াদী স্মৃতিতে দীর্ঘ সময় ধরে রাখা যায়, বিশেষ করে বহু-অঙ্কের জটিল সমস্যায়।<ref>Imbo, I., & LeFevre, Jo-Anne. (2009). Cultural differences in Complex Addition: Efficient Chinese versus Adaptive Belgians and Canadians. ''Journal of Experimental Psychology: Learning, Memory, and Cognition, 35''(6),1465-1476. doi:10.1037/a0017022</ref> তাই পাঠদানের কৌশল পরিকল্পনার সময় শিক্ষার্থীদের সাংস্কৃতিক পার্থক্য বিবেচনায় নেওয়া উচিত, কারণ তা গণিত সমস্যার প্রতি তাদের দৃষ্টিভঙ্গি প্রভাবিত করতে পারে।
=== গণিতে আত্ম-দক্ষতা ===
গণিতে শিক্ষার্থীদের আত্ম-দক্ষতা বলতে বোঝায় তারা নিজের সম্পর্কে কতটা বিশ্বাস রাখে যে তারা গণিতের প্রশ্ন সমাধান করতে পারবে। যারা বেশি আত্মবিশ্বাসী তারা গণিত সংশ্লিষ্ট কাজে আরও সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে এবং তাদের একাডেমিক সাফল্যও বেশি হয়। অন্যদিকে, যারা আত্মবিশ্বাস কম রাখে তারা গণিত সমস্যা সমাধানে বেশি দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয় এবং তাদের পারফরম্যান্স কম হয়। তাই, গণিতে আত্ম-দক্ষতা সরাসরি শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ ও সাফল্যের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত।
==== গণিতে আত্ম-দক্ষতার প্রভাব ====
আত্ম-দক্ষতা শিক্ষার্থীদের চিন্তা, বোঝাপড়া এবং শেখার অনুভূতিতে প্রভাব ফেলে। যারা নিজেদের দক্ষ মনে করে, তারা গণিতে ভালো করার ক্ষমতা আছে বলে বিশ্বাস করে।<ref>Schunk, D. H., & Zimmerman, B.J. (2006). Competence and control beliefs: Distinguishing the means and ends. In P.A. Alexander & P.H. Winne (Eds.), Handbook of educational psychology (2nd ed., pp.349-367). Yahweh, NJ: Erlbaum.</ref> এই বিশ্বাসের কারণে তারা আরও উৎসাহী হয়ে পড়ে এবং বেশি পড়াশোনা করে। ফলে, তারা আত্ম-সার্থকতার চক্রে পড়ে, অর্থাৎ তাদের নিজস্ব বিশ্বাস বাস্তব হয়ে ওঠে। বিপরীতে, যারা নিজেকে অদক্ষ মনে করে, তারা ভাবে যতই চেষ্টা করুক, গণিতে সফল হতে পারবে না।<ref>Schunk, D. H., & Zimmerman, B.J. (2006). Competence and control beliefs: Distinguishing the means and ends. In P.A. Alexander & P.H. Winne (Eds.), Handbook of educational psychology (2nd ed., pp.349-367). Yahweh, NJ: Erlbaum.</ref> এ কারণে তারা গণিত চর্চায় অনুপ্রাণিত হয় না এবং কয়েকবার চেষ্টা করেই হাল ছেড়ে দেয়। এতে তাদের "আমি পারি না" বিশ্বাস আরও দৃঢ় হয় এবং সেই অনুযায়ী তারা কাজ করতে থাকে।
==== শিক্ষার্থীদের আত্ম-দক্ষতা মূল্যায়ন ====
শিক্ষার্থীরা গণিতের কোন বিষয় শিখতে আত্মবিশ্বাসী কিনা তা মূল্যায়ন করা জরুরি, কারণ এটি তাদের পারফরম্যান্সকে প্রভাবিত করতে পারে। আত্ম-দক্ষতা মূল্যায়নের একটি উপায় হলো, প্রথম পুরুষে কিছু বিবৃতি তৈরি করা এবং শিক্ষার্থীদেরকে প্রত্যেকটি বিবৃতির জন্য ০ থেকে ১০০ স্কেলে রেট করতে বলা।<ref>Bandura, A. (1997). Self-efficacy: The exercise of control.New York, NY:Freeman.</ref> প্রথমে শিক্ষককে নির্দিষ্ট একটি টপিক বেছে নিতে হবে, যেমন "পৃষ্ঠতলের ক্ষেত্রফল নির্ধারণ"। এরপর সেই বিষয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য বিবৃতিগুলো তৈরি করতে হবে এবং শিক্ষার্থীরা সেগুলোর সত্যতা রেট করবে।
{| class="wikitable"
!রেট (০-১০০)
!বিবৃতি
|-
|৮০
|আমি জানি, প্যারালেলোগ্রামের পৃষ্ঠতলের ক্ষেত্রফল নির্ধারণে কী তথ্য লাগবে।
|-
|১০০
|আমি দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ দেওয়া থাকলে একটি আয়তক্ষেত্রের পৃষ্ঠতলের ক্ষেত্রফল নির্ধারণ করতে পারি।
|-
|৬০
|আমি ট্র্যাপেজিয়ামের ক্ষেত্রফলের সমীকরণ লিখতে পারি।
|-
|৫০
|আমি আমার সহপাঠীকে বোঝাতে পারি কেন ত্রিভুজের ক্ষেত্রফল bxh ÷2 অর্থাৎ, (ভূমি x উচ্চতা) / ২
|-
|৯০
|আমি ৪ সেন্টিমিটার দৈর্ঘ্যের একটি বর্গক্ষেত্রের ক্ষেত্রফল নির্ধারণ করতে পারি।
|}
এই স্কোরগুলো যোগ করে শিক্ষকেরা শিক্ষার্থীর আত্ম-দক্ষতার একটি সামগ্রিক চিত্র পেতে পারেন। উপরিউক্ত উদাহরণে, মোট স্কোর হবে ৮০+১০০+৬০+৫০+৯০। শিক্ষক চাইলে এই আত্ম-দক্ষতার তুলনা শিক্ষার্থীর গণিত বিষয়ে সামগ্রিক আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে করতে পারেন। আত্ম-দক্ষতা শিক্ষার্থীদের শেখার অনুপ্রেরণা ও আচরণকে প্রভাবিত করতে পারে, তাই শিক্ষকদের উচিত সেই অনুযায়ী পাঠ পরিকল্পনা তৈরি করা।
==== শিক্ষার্থীদের আত্ম-দক্ষতার বিকাশ ====
বান্দুরা আত্ম-দক্ষতা বিকাশে চারটি প্রধান উৎস চিহ্নিত করেছেন।<ref>Bandura, A. (1986). Social foundations of thought and action: A social cognitive theory. Englewood Cliffs, NJ, US: Prentice-Hall, Inc.</ref> প্রথমটি হলো শিক্ষার্থীদের সাফল্যের অভিজ্ঞতা।<ref>Bandura, A. (1986). Social foundations of thought and action: A social cognitive theory. Englewood Cliffs, NJ, US: Prentice-Hall, Inc.</ref> যেমন, যদি শিক্ষার্থী কোনো গণিত পরীক্ষায় ভালো ফল করে, তার সেই বিষয়ে আত্মবিশ্বাস বাড়ে। দ্বিতীয়টি হলো বিভিন্ন অভিজ্ঞতা।<ref>Bandura, A. (1986). Social foundations of thought and action: A social cognitive theory. Englewood Cliffs, NJ, US: Prentice-Hall, Inc.</ref> শিক্ষার্থীরা যখন তাদের সমমানের সহপাঠীদের কাজ করতে দেখে, তখন তারা নিজেরও পারবে বলে বিশ্বাস করতে শুরু করে। এমনকি গণিতবিদদের নিয়ে তৈরি ডকুমেন্টারি দেখা পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের আত্ম-দক্ষতা বাড়াতে পারে।<ref>Hekimoglu, S., & Kittrell, E. (2010). Challenging students' beliefs about mathematics: The use of documentary to alter perceptions of efficacy. PRIMUS: Problems, Resources, And Issues In Mathematics Undergraduate Studies, 20(4), 299-331. doi:10.1080/10511970802293956</ref>
তৃতীয় প্রভাবটি হলো সামাজিক প্রভাব।<ref>Bandura, A. (1986). Social foundations of thought and action: A social cognitive theory. Englewood Cliffs, NJ, US: Prentice-Hall, Inc.</ref> এটি শিক্ষার্থীদের ঘনিষ্ঠ মানুষদের (যেমন অভিভাবক, সহপাঠী বা শিক্ষক) কাছ থেকে আসা ইতিবাচক বক্তব্য হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, শিক্ষক যদি বলেন “তুমি বীজগণিতের সমস্যাগুলো এখন আগের থেকে ভালোভাবে সমাধান করতে পারছো,” তাহলে এটি শিক্ষার্থীদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে তোলে।
চতুর্থ প্রভাবটি হলো শিক্ষার্থীদের মানসিক অবস্থা।<ref>Bandura, A. (1986). Social foundations of thought and action: A social cognitive theory. Englewood Cliffs, NJ, US: Prentice-Hall, Inc.</ref> এটি শিক্ষার্থীদের কোনো পরিস্থিতির প্রতি আবেগগত প্রতিক্রিয়াকে বোঝায়। উদাহরণস্বরূপ, একজন শিক্ষার্থী মনে করতে পারে যে গণিত পরীক্ষায় ব্যর্থ হওয়ার কারণ তার অযোগ্যতা, অথচ প্রকৃতপক্ষে সেটা ছিল উদ্বেগের ফল। এই ক্ষেত্রে, শিক্ষার্থী তার ক্ষমতা ভুলভাবে মূল্যায়ন করে এবং গণিত বিষয়ে আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলে। আবার কোনো শিক্ষার্থী পরীক্ষায় ভালো করলেও সেটিকে নিজের দক্ষতা নয়, বরং ভাগ্যের কারণে হয়েছে বলে মনে করতে পারে। এর ফলে, সে আত্মবিশ্বাস গঠনের একটি সুযোগ হারিয়ে ফেলে। সুতরাং, ইতিবাচক বা নেতিবাচক যেকোনো অভিজ্ঞতার প্রতি শিক্ষার্থীর দৃষ্টিভঙ্গি তার আত্মদক্ষতা গঠনে প্রভাব ফেলে। এই ক্ষেত্রে আত্মদক্ষতা বাড়ানোর উপায় হলো শিক্ষার্থীদের তাদের প্রকৃত দক্ষতা চেনাতে সহায়তা করা এবং তাদের দক্ষতার প্রতি ইতিবাচক অনুভূতি তৈরি করা।
উশের একটি গবেষণা পরিচালনা করেছেন, যেখানে তিনি শিক্ষার্থী, অভিভাবক এবং শিক্ষকদের সাক্ষাৎকার নিয়ে মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের গণিত বিষয়ক আত্মদক্ষতার চারটি উৎস যাচাই করেন।<ref>Usher, E. L. (2009). Sources of middle school students’ self-efficacy in mathematics: A qualitative investigation. American Educational Research Journal, 46(1), 275-314. doi:10.3102/0002831208324517</ref> এই গবেষণার ফলাফল বান্দুরার ধারণার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ, যেখানে দক্ষতার অভিজ্ঞতা, পরোক্ষ অভিজ্ঞতা, সামাজিক প্রভাব ও মানসিক অবস্থা – সবই শিক্ষার্থীদের আত্মবিশ্বাস গঠনের সঙ্গে যুক্ত।
দক্ষতার অভিজ্ঞতা শিক্ষার্থীদের আত্মদক্ষতা বিকাশের সাথে দৃঢ়ভাবে সম্পর্কযুক্ত। উশের একটি কৌশল প্রস্তাব করেন যেটি গণিত শিক্ষকরা ব্যবহার করতে পারেন শিক্ষার্থীদের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে—“শিক্ষাদান এমনভাবে করা যাতে শিক্ষার্থীদের দক্ষতার অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ সর্বাধিক হয়, তা যত ছোটই হোক না কেন।”<ref>Usher, E. L. (2009). ...</ref> উদাহরণস্বরূপ, শিক্ষক অ্যালগরিদম বা বীজগণিত শেখানোর সময় সঠিকতা যাচাই করার কৌশল শেখাতে পারেন। যেমন প্রশ্ন: ১৮ ÷ ৬ =? শিক্ষক শিখাতে পারেন যে ভাগফলকে গুণ করে যদি ভাগফল × ভাজক = মূল সংখ্যা হয় (৩ × ৬ = ১৮), তবে উত্তর সঠিক। যারা এই কৌশল শিখেছে ও ব্যবহার করেছে, তারা গণিতে দক্ষতার অভিজ্ঞতা বাড়িয়েছে।<ref>Ramdass, D., & Zimmerman, B. J. (2008). ...</ref> শিক্ষার্থীদের সক্ষমতার মধ্যে থেকে চ্যালেঞ্জিং কাজ দেওয়া তাদের দক্ষতা বাড়াতে সাহায্য করে।
উশেরের গবেষণায় আরও দেখা গেছে, এই চারটি উৎসের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্কও রয়েছে। পরোক্ষ অভিজ্ঞতার ক্ষেত্রে দেখা গেছে, শিক্ষার্থীদের আত্মবিশ্বাসে অভিভাবক ও শিক্ষকের গণিত অভিজ্ঞতার প্রভাব আছে। একটি গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ হলো, এক শিক্ষার্থী তার অভিভাবকদের গণিতে ব্যর্থতাকে এভাবে ব্যাখ্যা করেছে—“আমি আলাদা হতে পারি।”<ref>Usher, E. L. (2009). ...</ref> এটি বোঝায় যে কেবল সফলতাই নয়, ব্যর্থতাও শিক্ষার্থীদের আত্মবিশ্বাসে প্রভাব ফেলতে পারে। এছাড়া, শিক্ষার্থীর মানসিক অবস্থা অন্যদের অভিজ্ঞতা কীভাবে তারা ব্যাখ্যা করে, তাতেও প্রভাব ফেলে। সামাজিক প্রভাবের ক্ষেত্রে দেখা গেছে, অভিভাবক ও শিক্ষকের বার্তা শিক্ষার্থীদের সক্ষমতা বিশ্বাসে বড় প্রভাব ফেলতে পারে। যেমন, যদি বাবা-মা বলেন গণিত একটি জন্মগত ক্ষমতা—“তোমার আছে বা নেই”—তাহলে সন্তানরা নিজেকে অক্ষম মনে করে আত্মবিশ্বাস হারাতে পারে। এই ক্ষেত্রে সামাজিক প্রভাব মানসিক অবস্থাতেও প্রভাব ফেলে।
==== শিক্ষকের আত্মদক্ষতা ====
শিক্ষকের শিক্ষাদানের আত্মদক্ষতা বলতে বোঝায় যে, তারা বিশ্বাস করেন তারা শিক্ষার্থীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনতে পারেন,<ref>Woolfolk, A. E., & Hoy, W. K. (1990). ...</ref> যেমন একাডেমিক পারফরম্যান্স, আত্মদক্ষতা, অনুপ্রেরণা, মনোভাব এবং আগ্রহ। উচ্চ আত্মদক্ষতা গঠনের জন্য শিক্ষকদের প্রয়োজন ইতিবাচক মনোভাব, বিষয়বস্তুর প্রতি গভীর জ্ঞান এবং শিক্ষণ কৌশলের জ্ঞান।
গণিত বিষয়ে শিক্ষকের মনোভাব শিক্ষার্থীদের মনোভাব ও পারফরম্যান্সে বড় প্রভাব ফেলে। একটি গবেষণায় চারটি গ্রুপ—প্রাথমিক শিক্ষক (K-4), মাধ্যমিক শিক্ষক, অন্যান্য প্রশাসনিক কর্মকর্তা, এবং বিশেষ শিক্ষা শিক্ষক—এর মধ্যে সাক্ষাৎকার ও একটি মনোভাব স্কেল পূরণের মাধ্যমে শিক্ষকদের মনোভাব বিশ্লেষণ করা হয়েছে।<ref>Kolstad, R. K., Hughes, S., & Briggs, L. D. (1994). ...</ref> এতে দেখা যায়, মাধ্যমিক শিক্ষকরা সবচেয়ে ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করেন (৬০% অত্যন্ত ইতিবাচক, ৩০% নিরপেক্ষ, ১০% অত্যন্ত নেতিবাচক), এবং প্রাথমিক শিক্ষকরা সবচেয়ে নেতিবাচক মনোভাব পোষণ করেন (৪৩% ইতিবাচক, ২৩% নিরপেক্ষ, ৩৪% নেতিবাচক)। ফলাফল নির্দেশ করে প্রাথমিক স্তরে গণিতকে তেমন গুরুত্ব দেওয়া হয় না।
নেতিবাচক মনোভাব থাকলে শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের শেখাতে সক্ষম—এই বিশ্বাসটিও হারিয়ে ফেলেন, যার সঙ্গে আত্মদক্ষতা জড়িত। শিক্ষকের শিক্ষাদান কৌশল ও বিষয়বস্তুর জ্ঞানও তাদের আত্মদক্ষতার ওপর প্রভাব ফেলে। একটি সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, গণিত বিষয়ক শিক্ষকের জ্ঞান ও আত্মদক্ষতার মধ্যে শক্তিশালী সম্পর্ক রয়েছে, যা দেখায়—যাদের বিষয়বস্তু ও কৌশলগত জ্ঞান বেশি, তারা শিক্ষাদানে বেশি আত্মবিশ্বাসী এবং শিক্ষার্থীদের শেখাতে পারার বিশ্বাস রাখেন।<ref>Fox, A. M. (2015). ...</ref>
শিক্ষকের আত্মদক্ষতা বিভিন্নভাবে শিক্ষার্থীদের শেখায় প্রভাব ফেলে। এর মধ্যে অন্যতম হলো শিক্ষার্থীর একাডেমিক সাফল্য। একটি গবেষণায় দেখা গেছে, K-12 স্তরের শিক্ষকদের আত্মদক্ষতা শিক্ষার্থীদের সাফল্যের সঙ্গে ইতিবাচকভাবে সম্পর্কযুক্ত।<ref>Chears-Young, J. B. (2015). ...</ref> এছাড়া, এটি শিক্ষার্থীদের অনুপ্রেরণা, আগ্রহ এবং শেখার কৌশলেও প্রভাব ফেলে। আত্মদক্ষ শিক্ষকরা প্রশংসা ব্যবহার করেন, সমালোচনার বদলে, এবং অধিক গ্রহণযোগ্য ও লক্ষ্যভিত্তিক হন।<ref>Kagan, D.M. (1992). ...</ref> অন্য একটি গবেষণায় দেখা গেছে, উচ্চ আত্মদক্ষতাসম্পন্ন শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের শেখার কৌশল শেখান এবং বেশি একাডেমিক সময় দেন, যা পারফরম্যান্স বাড়ায়।<ref>Ghaith, G., & Yaghi, H. (1997). ...</ref>
=== স্ব-নিয়ন্ত্রিত শেখা ===
অনেকে মনে করেন, শিক্ষার্থীদের গণিতে খারাপ ফলাফল তাদের অযোগ্যতা বা পড়াশোনার ঘাটতির কারণে হয়। কিন্তু সব ক্ষেত্রে তা সঠিক নয়। অনেক সময় খারাপ ফলাফল হয় কারণ শিক্ষার্থীরা উপযুক্ত কৌশল ব্যবহার করতে জানে না বা '''স্ব-নিয়ন্ত্রিত শেখা'''র অভাব রয়েছে।
স্ব-নিয়ন্ত্রিত শেখা হলো, শিক্ষার্থীরা তাদের শেখার সমস্ত দিক নিজেরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে—পরিকল্পনা থেকে শুরু করে পরবর্তী মূল্যায়ন পর্যন্ত।<ref>Zimmerman, B. (2000). ...</ref> এই শেখার তিনটি মূল উপাদান আছে।
প্রথমটি হলো, মেটাকগনিটিভ সচেতনতা—মানে কীভাবে শিক্ষার্থীরা লক্ষ্য স্থির করে এবং তা অর্জনের পরিকল্পনা তৈরি করে।<ref>Zimmerman, B. (2000). ...</ref>
দ্বিতীয়টি হলো, কৌশল ব্যবহার—অর্থাৎ শিক্ষার্থীরা কী কী স্ব-নিয়ন্ত্রিত কৌশল প্রয়োগ করতে পারে। দক্ষ শিক্ষার্থীরা বেশি কার্যকর কৌশল ব্যবহার করে।<ref>Zimmerman, B. J., & Martinez-Pons, M. (1990). ...</ref>
তৃতীয়টি হলো, অনুপ্রেরণা নিয়ন্ত্রণ—যেখানে শিক্ষার্থীরা লক্ষ্য স্থির করে এবং তাদের দক্ষতা ও পারফরম্যান্সে ইতিবাচক বিশ্বাস রাখে।<ref>Zimmerman, B. (2000). ...</ref>
স্ব-নিয়ন্ত্রিত শেখার দক্ষতা শিক্ষার্থীর গণিত সাফল্যে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলে। এই দক্ষতা বাড়লে, তারা ভালো কৌশল ব্যবহার করে এবং কীভাবে গণিত পড়তে হয় তা ভালোভাবে বোঝে, ফলে তাদের গণিতের ফলাফল উন্নত হয়।
==== গণিতে আত্মনিয়ন্ত্রিত শেখার প্রোগ্রাম নিয়ে একটি গবেষণা ====
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় পরিচালিত একটি গবেষণায় একটি গণিতভিত্তিক আত্মনিয়ন্ত্রিত শেখার প্রোগ্রাম গঠিত হয় এবং ফলাফল থেকে দেখা গেছে, যখন শিক্ষার্থীদের আত্মনিয়ন্ত্রিত শেখার দক্ষতা শেখানো হয়, তখন তাদের গণিতে অর্জনক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। এই গবেষণায় প্রাথমিক স্তরের গণিতে কম ফলাফলপ্রাপ্ত ৬০ জন শিক্ষার্থীকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এর মধ্যে ৩০ জনকে পরীক্ষামূলক দলে রাখা হয়, যারা এই গণিতভিত্তিক আত্মনিয়ন্ত্রিত শেখার প্রোগ্রামে অংশ নেয়।
এই প্রোগ্রামটি ৩০টি সেশনে বিভক্ত, যার লক্ষ্য শিক্ষার্থীদের আত্মনিয়ন্ত্রিত শেখার দক্ষতা বাড়ানো, তাদের মোটিভেশন নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা উন্নত করা এবং আত্মনিয়ন্ত্রণ কৌশল শেখানো। (সেশন ১-৫) প্রোগ্রামটি শুরু হয় শিক্ষার্থীদের আত্মনিয়ন্ত্রণ বিশ্বাস ব্যবস্থা গঠনের মাধ্যমে। এতে শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত দায়িত্ববোধ, আত্ম-দক্ষতা, শেখার লক্ষ্য এবং প্রচেষ্টার ভিত্তিতে কৃতিত্ব বোঝানোর মূল্য শেখানো হয় গল্প বলার মাধ্যমে এবং দলগত আলোচনায় অংশগ্রহণ করিয়ে।<ref>Camahalan, F. G. (2006). Effects of Self-Regulated Learning on Mathematics Achievement of Selected Southeast Asian Children. Journal Of Instructional Psychology, 33(3), 194-205.</ref> (সেশন ৬-১১) এরপর তাদের সামনে জিমারম্যানের প্রস্তাবিত ১৪টি আত্মনিয়ন্ত্রিত শেখার কৌশল উপস্থাপন করা হয়।<ref>Zimmerman, B. (2000). Attaining self-regulation: A social cognitive perspective. In M. Boekaerts, P. R. Pintrich, & M. Zeidner (Eds.), Handbook of self-regulation (pp.13-39). San Diego, CA: Academic Press.</ref> প্রতিটি কৌশলের ব্যবহার এবং গণিতে এর গুরুত্ব ব্যাখ্যা করা হয় এবং শিক্ষার্থীদের নিজে নিজে কৌশলগুলো চর্চা করার সুযোগ দেওয়া হয়। (সেশন ১২-৩০) শেষে, শিক্ষার্থীদের নিয়মিত গণিত পাঠে আত্মনিয়ন্ত্রিত শেখার কৌশল প্রয়োগে দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়। পাশাপাশি, শিক্ষার্থীদের নিজেদের অগ্রগতি মূল্যায়ন করতে হয় লক্ষ্য নির্ধারণ, আত্মমূল্যায়ন এবং আত্ম-প্রতিক্রিয়া ফর্ম পূরণের মাধ্যমে। প্রোগ্রামের ৩০টি সেশন শেষ করার পর শিক্ষার্থীদের একটি গণিত পরীক্ষার পাশাপাশি আত্মনিয়ন্ত্রিত শেখার দক্ষতা যাচাইয়ের পরীক্ষা নেওয়া হয়। ফলাফল থেকে দেখা যায়, যারা প্রোগ্রামে অংশ নেয় তারা উভয় পরীক্ষাতেই উল্লেখযোগ্যভাবে ভালো ফলাফল করে যাদের অংশগ্রহণ ছিল না তাদের তুলনায়।
===== গণিতে আত্মনিয়ন্ত্রিত শেখার কৌশল প্রয়োগ =====
{| class="wikitable"
!কৌশলসমূহ
!গণিতে প্রয়োগ
|-
|আত্ম-মূল্যায়ন
|সঠিক পদ্ধতিতে প্রশ্নের যথার্থ উত্তর মিলিয়ে দেখা।
|-
|সংগঠন ও রূপান্তর
|প্রশ্নকে গুছিয়ে নেয়া, যেমন গ্রাফ, সমীকরণ, চিত্র ব্যবহার করা।
|-
|লক্ষ্য নির্ধারণ ও পরিকল্পনা
|লক্ষ্য নির্ধারণ এবং তা অর্জনের পরিকল্পনা।
|-
|নোট নেয়া ও নজরদারি
|ক্লাসে নোট নেয়া এবং সমীকরণ গুছিয়ে রাখা।
|-
|পরিবেশ গঠন
|উপযুক্ত পরিবেশে অধ্যয়ন করা।
|-
|আত্ম-প্রতিক্রিয়া
|নিজের সাফল্য বা ব্যর্থতার জন্য নিজেই পুরস্কার বা শাস্তি নির্ধারণ।
|-
|অনুশীলন ও মুখস্থকরণ
|বিভিন্ন ধরনের গণিত সমস্যা সমাধানের মাধ্যমে শেখা।
|-
|তথ্য অনুসন্ধান
|অ-সামাজিক উৎস থেকে তথ্য সংগ্রহ।
|-
|সামাজিক সহায়তা চাওয়া
|বন্ধু, শিক্ষক বা অন্য প্রাপ্তবয়স্কদের সাহায্য চাওয়া।
|-
|পুনরায় রিভিউ করা
|পাঠ্যবই, নোট বা হোমওয়ার্ক পুনরায় পড়া।
|}
৩০টি সেশনে অংশ নেওয়ার পর শিক্ষার্থীদের গণিত অর্জন এবং আত্মনিয়ন্ত্রিত শেখার দক্ষতায় লক্ষণীয় উন্নতি দেখা গেছে।<ref>Camahalan, F. G. (2006). Effects of Self-Regulated Learning on Mathematics Achievement of Selected Southeast Asian Children. Journal Of Instructional Psychology, 33(3), 194-205.</ref> এটি প্রমাণ করে যে, কম অর্জনক্ষম শিক্ষার্থীদের আত্মনিয়ন্ত্রিত শেখার কৌশল শেখানো সম্ভব এবং কার্যকর। যখন তারা এই দক্ষতা অর্জন করে এবং প্রক্রিয়াভিত্তিক চিন্তায় মনোযোগ দেয়, তখন তাদের সমস্যা সমাধানের দক্ষতা বাড়ে। উন্নতির সাথে সাথে শিক্ষার্থীরা তাদের সামর্থ্য সম্পর্কে আত্মবিশ্বাসী হতে শুরু করে। নিজেদের প্রশংসা ও পুরস্কার প্রদান তাদের আরও উন্নতির দিকে ধাবিত করে। এর ফলে তাদের আত্ম-দক্ষতা এবং গণিতের প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধি পায়। এটি একটি ইতিবাচক চক্র তৈরি করে: শিক্ষার্থীরা যখন বিশ্বাস করতে শুরু করে যে তারা গণিতে সফল হতে পারে, তখন তারা আরও কঠোর পরিশ্রম করে এবং আত্মনিয়ন্ত্রিত শেখার সঠিক কৌশল প্রয়োগে সক্ষম হয়।
ঐতিহ্যগত শ্রেণিকক্ষে, গণিতকে সাধারণত একটি উত্তর-কেন্দ্রিক বিষয় হিসেবে দেখা হয়, প্রক্রিয়া-কেন্দ্রিক নয়। গতি ও নির্ভুলতার ওপর গুরুত্ব দিলে, শিক্ষার্থীরা কেবল তথ্য মুখস্থ করতে শেখে, কিন্তু গণিত বুঝে না। এছাড়া, ঐ পরিবেশে শেখার প্রবাহ শুধুমাত্র শিক্ষক থেকে শিক্ষার্থীর দিকে হয়। এর ফলে শিক্ষার্থীদের আত্মনিয়ন্ত্রিত শেখার কৌশল প্রয়োগ করা কঠিন হয়ে পড়ে, কারণ তারা যখন তাদের শেখার ওপর নিয়ন্ত্রণ পায় না, তখন তারা আত্ম-নিয়ন্ত্রণ শেখে না কিংবা স্বতঃস্ফূর্তভাবে তা প্রয়োগেও আগ্রহী হয় না।<ref>Camahalan, F. G. (2006). Effects of Self-Regulated Learning on Mathematics Achievement of Selected Southeast Asian Children. Journal Of Instructional Psychology, 33(3), 194-205.</ref> অতএব, আত্মনিয়ন্ত্রিত কৌশল প্রয়োগে শ্রেণিকক্ষের পরিবেশ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষার্থীদের কিছু নিয়ন্ত্রণ দিলে তারা শেখার সময় নিজেরাই সিদ্ধান্ত নিতে শেখে। গণিত শিক্ষকরা জ্ঞানের আদান-প্রদান এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ উৎসাহিত করা উচিত। শিক্ষার্থীরা যখন লক্ষ্য নির্ধারণ, পরিকল্পনা ও নিজেদের কাজ মূল্যায়নে অংশগ্রহণ করে, তখন তারা আত্মনিয়ন্ত্রিত শেখার কৌশল চর্চা করার সুযোগ পায় যা তাদের গণিত অর্জনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।
উচ্চ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা নিম্ন শ্রেণির শিক্ষার্থীদের তুলনায় আত্মনিয়ন্ত্রিত শেখার কৌশল ভালোভাবে প্রয়োগ করতে পারে।<ref>Camahalan, F. G. (2006). Effects of Self-Regulated Learning on Mathematics Achievement of Selected Southeast Asian Children. Journal Of Instructional Psychology, 33(3), 194-205.</ref> এর কারণ হলো, বড় শিক্ষার্থীরা আত্মনিয়ন্ত্রিত শেখার ধারণা ও কৌশলগুলো ভালোভাবে বুঝতে পারে। এছাড়া কিছু কৌশল যেমন পরিকল্পনা লেখা, শেখার উপাদান গুছিয়ে রাখা—এসবের জন্য পূর্বজ্ঞান দরকার হয়। ফলে বড়দের এসব কৌশল শেখা অপেক্ষাকৃত সহজ হয় এবং তারা গণিত অর্জনে তুলনামূলক বেশি উন্নতি করে।
== শিক্ষণ বিষয়ক প্রভাব ==
=== গণিত শেখার অক্ষমতা ===
সাম্প্রতিক গবেষণাগুলো যেগুলো জ্ঞানচর্চা, কার্যস্মৃতি এবং গণিত শেখার অক্ষমতা নিয়ে হয়েছে, সেগুলো দেখায় যে গণিতে “গণনা” এবং “সমস্যা সমাধান” দুটি আলাদা শেখার অক্ষমতা আছে। এতদিন গণিত মূল্যায়ন সাধারণ ছিল এবং এই দুই ডোমেইনের পার্থক্য বিবেচনায় নেওয়া হতো না। শিক্ষার্থী মূল্যায়নের সময় পেশাদারদের উচিত এই দুটি দক্ষতা আলাদাভাবে বিবেচনা করা। শিক্ষকদেরও উচিত শিশুদের শেখানোর সময় এই আলাদা ডোমেইন দুটি চিন্তা করে পরিকল্পনা করা। গণিত শেখাতে কিছু পরামর্শ ও টুলস শিক্ষার্থীদের উপকারে আসতে পারে:
=== বাহ্যিক উপস্থাপন ===
গণিতে সমস্যা সমাধান অনেক সময় মানসিকভাবে কঠিন হতে পারে, তাই বাহ্যিক উপস্থাপন অনেক উপকারী হতে পারে। এটি শিক্ষার্থীদের জন্য গণিতের ধারণা স্পষ্ট করে তুলে ধরে, যাতে তারা সহজেই জ্ঞান অর্জন করতে পারে। বাহ্যিক উপস্থাপনের কিছু উদাহরণ হলো—সমাধানসহ উদাহরণ, অ্যানিমেশন ও চিত্র।
==== সমাধানসহ উদাহরণ ====
ওয়ার্ক-আউট উদাহরণগুলো একটি দরকারী শিক্ষামূলক পদ্ধতি যা শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের গণিত শেখার সুবিধার্থে ব্যবহার করেন। গবেষণা দেখায় যে ওয়ার্ক-আউট উদাহরণগুলো ব্যবহার করে এমন শিক্ষার্থীদের বাড়িয়ে তুলতে পারে, যাদের গণিতের কর্মক্ষমতা স্তর কম। একটি কারণ হলো যখন শিক্ষার্থীদের সমাধান করার জন্য কোনও সমস্যা দেওয়া হয়, তখন তাদের সর্বোত্তম লক্ষ্য গণিত শেখার পরিবর্তে সমস্যাটি সমাধান করা। বিপরীতে, যখন শিক্ষার্থীদের কাজের উদাহরণ দেওয়া হয়, তখন তারা আসলে শিখে এবং তাদের নিজেরাই উপকরণগুলো ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করে।<ref>Renkl, A. (1999). Learning Mathematics from worked-out examples: Analyzing and Fostering self-explanations. ''European Journal of Psychology of Education, 14''(4), 477-488.</ref> সুতরাং, কাজ করা উদাহরণগুলো শিক্ষার্থীদের জন্য ইচ্ছাকৃত শিক্ষার উপর আরও বেশি ফোকাস করে। শিক্ষার্থীরা সাধারণত গাণিতিক তত্ত্ব বা প্রমাণ বুঝতে পারে না কারণ তারা বুঝতে জটিল। যাইহোক, পরিশ্রমী উদাহরণগুলো শিক্ষার্থীদের শেখার অর্জন এবং গণিতের ধারণাটি বোঝার জন্য সহজ। সুস্পষ্ট নির্দেশনা না দিয়ে, শিক্ষকরা কেবল শিক্ষার্থীদের উল্লেখ করার জন্য উদাহরণ হিসাবে গাণিতিক সমস্যাটি কীভাবে সমাধান করবেন তার পদক্ষেপগুলো দেখায়। গাণিতিক সমস্যা সমাধানের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপগুলোর বিস্তারিত ব্যাখ্যা রয়েছে। তারপরে, শিক্ষার্থীদের নিজেরাই একই ধরণের গাণিতিক সমস্যাটি স্ব-ব্যাখ্যা করার স্বায়ত্তশাসন রয়েছে। সুতরাং, তারা অনেক গাণিতিক সমস্যা সমাধানের জন্য রেফারেন্স হিসাবে কাজ করা উদাহরণগুলো ব্যবহার করতে পারে।<ref>Tu, C-T. (2011). An Instructional experiment: Using worked-out examples in mathematics problem-solving of elementary school students. ''Bulletin of Educational Psychology, 43''(1), 25-50.</ref> শিক্ষকরা যে পরিশ্রমী উদাহরণ দিয়েছেন তা উল্লেখ করে তারা কীভাবে সমস্যার সমাধান করা যায় সে সম্পর্কে তাদের চিন্তাভাবনাকে স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত করতে পারে। অতএব, এটি শিক্ষার্থীদের স্ব-নিয়ন্ত্রিত শিক্ষার ক্ষেত্রেও বাড়িয়ে তুলতে পারে কারণ তারা সমস্যা সমাধানে তাদের সমালোচনামূলক চিন্তাভাবনা অনুশীলন করছে। এই '''মেটাকগনিটিভ''' কৌশলটি শিক্ষার্থীদের বিশেষত গাণিতিক শব্দ সমস্যাগুলোতে তাদের সমস্যা সমাধানের দক্ষতা উন্নত করতে সহায়তা করতে পারে। মেটাকগনিটিভ কৌশলগুলোর মধ্যে স্ব-জিজ্ঞাসা, স্ব-মূল্যায়ন, সংক্ষিপ্তকরণ এবং সমস্যাটি চিত্রিত করা অন্তর্ভুক্ত।<ref>Tajika, H., Nakatsu, N., Nozaki H., Neumann, E., & Maruno S. (2007). Effects of Self-Explanation as a Metacognitive Strategy for Solving Mathematical Word Problems. ''Japanese Psychological Research, 49''(3), 222-233.</ref> এই কৌশলগুলো শিক্ষার্থীদের জন্য জ্ঞান অর্জন করার সময় কাজ করা উদাহরণগুলো থেকে আরও গভীর বোঝার জন্য তৈরি করে বলে বিশ্বাস করা হয়। গবেষণায় দেখা গেছে যে শিক্ষার্থীরা সমস্যাটি স্ব-ব্যাখ্যা করতে এবং তাদের সমাধান করতে পারে তাদের উচ্চতর গণিতের কৃতিত্ব রয়েছে। যখন শিক্ষার্থীরা নিজেরাই গাণিতিক সমস্যাটি কীভাবে সমাধান করা যায় তার পদক্ষেপগুলো ব্যাখ্যা করে, তখন তারা তাদের প্রতিফলিত চিন্তাভাবনা অনুশীলন করে যা তথ্য দেওয়া হয়েছিল তার বাইরেও বৃহত্তর বোঝার তৈরি করতে পারে। প্রকৃতপক্ষে, শিক্ষার্থীরা গণিতের নতুন এবং পরিশীলিত জ্ঞান বিকাশ করতে পারে কারণ তারা তাদের পূর্ব জ্ঞানের সাথে নতুন শেখা উপকরণগুলোকে একত্রিত করে।<ref>Tajika, H., Nakatsu, N., Nozaki H., Neumann, E., & Maruno S. (2007). Effects of Self-Explanation as a Metacognitive Strategy for Solving Mathematical Word Problems. ''Japanese Psychological Research, 49''(3), 222-233.</ref> উপরন্তু, ওয়ার্ক-আউট উদাহরণগুলো গ্রুপ সেটিংসেও ব্যবহার করা যেতে পারে যেখানে শিক্ষার্থীরা গাণিতিক সমস্যা সমাধানে তাদের সহপাঠীদের সাথে আলোচনা করতে পারে। গবেষণায় দুটি উপায় পাওয়া গেছে যাতে শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষে ওয়ার্ক-আউট উদাহরণ ব্যবহার করতে পারে।<ref>Mevarech, Z. R., & Kramarski, B. (2003). The Effects of Metacognitive Training versus Worked-out Examples on Students’ mathematical reasoning. ''British Journal of Educational Psychology, 73''(4), 449-471. doi: http://dx.doi.org.proxy.lib.sfu.ca/10.1348/000709903322591181</ref> একটা উপায় হলো, যারা কাজের উদাহরণ বোঝে তারা যারা বোঝে না তাদের বোঝাতে পারবে। অন্য উপায়টি হলো শিক্ষার্থীরা তাদের যুক্তি এবং যুক্তি দক্ষতা ব্যবহার করে সম্পূর্ণরূপে কার্যকরী উদাহরণগুলো ব্যাখ্যা করে। উভয় উপায়ে শিক্ষার্থীদের কাজের উদাহরণগুলোর বিশদ আলোচনা করে একটি সামাজিক ইন্টারেক্টিভ সেটিংয়ে শেখার সাথে জড়িত। একটি সামাজিক সেটিংয়ে শেখা উপকরণগুলোর বোঝাপড়াকে শক্তিশালী করতে পারে কারণ শিক্ষার্থীরা উদাহরণগুলো আরও গভীরভাবে প্রসারিত করছে। একটি স্পষ্ট বোঝার জন্য তারা কাজ করা উদাহরণগুলোর সাথে তাদের যে কোনও প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করতে পারে।<ref>Mevarech, Z. R., & Kramarski, B. (2003). The Effects of Metacognitive Training versus Worked-out Examples on Students’ mathematical reasoning. ''British Journal of Educational Psychology, 73''(4), 449-471.</ref> তাই, শিক্ষার্থীদের উচিত ছোট দলে ভাগ হয়ে উদাহরণগুলো নিয়ে আলোচনা করা এবং সমস্যা সমাধানের প্রক্রিয়া প্রতিফলিত করে নতুন জ্ঞান অর্জন করা।
==== অ্যানিমেশন ====
গণিত শিক্ষায় শিক্ষার্থীদের আগ্রহ বাড়াতে অ্যানিমেশন একটি দারুণ কার্যকর শিক্ষণ উপকরণ হিসেবে বিবেচিত। যেহেতু গণিত অনেক সময় বিরক্তিকর এবং অনাকর্ষণীয় মনে হতে পারে, তাই অ্যানিমেশন শিক্ষার্থীদের মধ্যে গণিত শেখার আগ্রহ সৃষ্টি করতে পারে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, অ্যানিমেশন শিক্ষার্থীদের সমস্যা সমাধানের দক্ষতা বাড়াতে সহায়ক বলে দাবি করা হয়।<ref>Scheiter, K., Gerjets, P., & Schuh, J. (2010). The Acquisition of Problem-Solving Skills in Mathematics: How Animations Can Aid Understanding of Structural Problem Features and Solutions Procedures. ''Instructional Science, 38''(5), 487-502. doi: http://dx.doi.org.proxy.lib.sfu.ca/10.1007/s11251-009-9114-9</ref>
যেকোনো গণিত সমস্যার সমাধান করার আগে শিক্ষার্থীদের জন্য সমস্যাটি চিহ্নিত করা এবং কী সমাধান করতে হবে তা জানা গুরুত্বপূর্ণ। এই পর্যায়ে, যদি শিক্ষার্থীদের পক্ষে সমস্যাটি অনুবাদ বা বোঝা কঠিন হয়ে পড়ে, তখন অ্যানিমেশন সবচেয়ে কার্যকর হয়ে ওঠে কারণ এতে চিত্রভিত্তিক উপস্থাপনা থাকে যা শিক্ষার্থীদের জন্য প্রশ্নটি ব্যাখ্যা করা সহজ করে তোলে। বিপরীতে, যখন শিক্ষার্থীরা শুধুই সমস্যার নোট নেয়, তখন তারা কেবল পাঠ্য অনুলিপি করে, যার ফলে সমস্যার প্রকৃত অর্থ বোঝা সম্ভব হয় না। তবে যদি সমস্যার ব্যাখ্যার পাশাপাশি একটি চিত্র উপস্থাপন করা হয়, তাহলে শিক্ষার্থীরা সম্পূর্ণরূপে বুঝতে পারে সমস্যার পটভূমি।
উদাহরণস্বরূপ, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য যোগ ও বিয়োগের ধারণা পাঠ্যপাঠের মাধ্যমে বোঝানো কঠিন হতে পারে। কিন্তু, যখন একটি সমস্যার আগের ও পরের অবস্থা অ্যানিমেশনের মাধ্যমে দেখানো হয়, তখন এটি একটি পরিষ্কার ধারণা তৈরি করতে পারে। যোগ ও বিয়োগ ভিত্তিক সমস্যার ক্ষেত্রে, অ্যানিমেশন বস্তুর সংখ্যা বৃদ্ধি বা হ্রাস প্রদর্শনের মাধ্যমে সমাধান ব্যাখ্যা করতে পারে। এছাড়াও, অ্যানিমেশন বিমূর্ত গণিত তত্ত্বকে দৃশ্যমান বস্তু, নির্দিষ্ট ফলাফল এবং বাস্তব উদাহরণের মাধ্যমে উপস্থাপন করতে পারে। ফলে, অ্যানিমেশন ব্যবহার করে গণিতের বিমূর্ত ধারণাগুলোকে নির্দিষ্ট উদাহরণের সঙ্গে যুক্ত করে শেখানো যায়।<ref>Scheiter, K., Gerjets, P., & Schuh, J. (2010). The Acquisition of Problem-Solving Skills in Mathematics: How Animations Can Aid Understanding of Structural Problem Features and Solutions Procedures. ''Instructional Science, 38''(5), 487-502. doi: http://dx.doi.org.proxy.lib.sfu.ca/10.1007/s11251-009-9114-9</ref>
অ্যানিমেশন দৃশ্যমান উপস্থাপনার মাধ্যমে বিমূর্ত নীতিগুলোর অধিগ্রহণ এবং উদাহরণ বিশ্লেষণের ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে পারে। যদিও উদাহরণ বিশ্লেষণ একটি কার্যকর শিক্ষণ কৌশল হিসেবে পরিচিত, তবুও অ্যানিমেশন এই উদাহরণগুলোকে আরও উন্নত করতে পারে।<ref>Scheiter, K., Gerjets, P., & Schuh, J. (2010). The Acquisition of Problem-Solving Skills in Mathematics: How Animations Can Aid Understanding of Structural Problem Features and Solutions Procedures. ''Instructional Science, 38''(5), 487-502. doi: http://dx.doi.org.proxy.lib.sfu.ca/10.1007/s11251-009-9114-9</ref> উদাহরণ বিশ্লেষণ সব সময় চিত্র সহ হয় না, বরং কেবল পাঠ্য থাকতে পারে। তাই, যদি প্রতিটি ধাপের জন্য চিত্র উপস্থাপন থাকে, তাহলে শিক্ষার্থীরা সমস্যা ও সমাধানের বিষয়টি কল্পনা করতে পারে। শিক্ষার্থীরা ব্যাখ্যা ও চিত্রের মাধ্যমে উদাহরণগুলো আরও ভালোভাবে ব্যাখ্যা করতে পারে। ফলস্বরূপ, শিক্ষকদের উচিত অ্যানিমেশনকে একটি শিক্ষণ কৌশল হিসেবে ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের গণিত শিক্ষাকে আরও সুদৃঢ় করা।
==== রেখাচিত্র ====
তথ্যভিত্তিক রেখাচিত্র তৈরি করা একটি কঠিন কাজ, কারণ শিক্ষার্থীদের শুধু মৌখিক তথ্যকে চিত্রে রূপান্তর করলেই হয় না, বরং সংশ্লিষ্ট তথ্যগুলো চিহ্নিত ও একত্রিত করে পূর্বজ্ঞান ব্যবহার করতে হয়।<ref>van Garderen, D., Scheuermann, A., & Poch, A. (2014). Challenges students identified with a learning disability and as high-achieving experience when using diagrams as a visualization tool to solve mathematics word problems. ZDM Mathematics Education, 46, 135–149.</ref>
লারকিন এবং সাইমন বিশ্বাস করতেন যে, অনুচ্ছেদ ভিত্তিক উপস্থাপনার তুলনায় চিত্রভিত্তিক উপস্থাপন আরও সহজ ও কার্যকর, বিশেষত অনুসন্ধান, মেলানো এবং উপসংহারের ক্ষেত্রে। প্রথমত, এটি শব্দ সমস্যার উপাদানগুলোর মধ্যে টপোগ্রাফিক এবং জ্যামিতিক সম্পর্ক স্পষ্টভাবে ধরে রাখে, ফলে শিক্ষার্থীরা নির্দিষ্ট তথ্য খুঁজে পেতে সহজতর হয়। দ্বিতীয়ত, সংশ্লিষ্ট উপাদানগুলো একত্রে গোষ্ঠীবদ্ধ থাকায় এটি বিমূর্ত উপস্থাপনা ও চিত্রচিহ্নের মধ্যে সম্পর্ক পরিষ্কার করে তোলে। তৃতীয়ত, যদি সমস্যাটি চিত্র এঁকে তৈরি করা হয়, তবে মেমরি লোড কমে যায় কারণ শিক্ষার্থীরা সংশ্লিষ্ট তথ্যগুলোর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্ক স্পষ্টভাবে দেখতে পারে।<ref>Larkin, J., & Simon, H. (n.d.). Why a Diagram is (Sometimes) Worth Ten Thousand Words. Cognitive Science, 65-100.</ref>
অনেক গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে, রেখাচিত্রের ব্যবহার সমস্যার সমাধান দক্ষতা বাড়াতে পারে।
বানার্জি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের গণিত শব্দ সমস্যার সমাধানে রেখাচিত্র ব্যবহার করার প্রভাব নিয়ে একটি গবেষণা করেন। গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে, রেখাচিত্র তৈরির পদ্ধতি (যেমন রেখাচিত্র আঁকা ও লেবেলিং) গণিত সমস্যা সমাধানে শিক্ষার্থীদের অর্জন উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করে।<ref>Banerjee, B. (2011). The effects of using diagramming as a representational technique on high school students' achievement in solving math word problems. Dissertation Abstracts International Section A, 71, 394</ref>
[[চিত্র:Percentage_of_correct_answers_between_the_Japanese_and_New_Zealand_students.jpg|থাম্ব|জাপান এবং নিউজিল্যান্ডের শিক্ষার্থীদের মধ্যে রেখাচিত্র ব্যবহার করে গণিত শব্দ সমস্যার সঠিক উত্তরের শতাংশের তুলনা]]
এক গবেষণায়, উসাকা, মানালো এবং ইচিকাওয়া জাপান ও নিউজিল্যান্ডের শিক্ষার্থীদের তুলনা করেন।<ref>Uesaka, Y., Manalo, E., & Ichikawa, S. (2007). What kinds of perceptions and daily learning behaviors promote students' use of diagrams in mathematics problem solving?. Learning And Instruction, 17(3), 322-335.</ref> জাপানি শিক্ষার্থী একটি একক বস্তু ভিত্তিক রেখাচিত্র ব্যবহার করেছিল, এবং নিউজিল্যান্ডের শিক্ষার্থী দুটি মাত্রার বস্তু ব্যবহার করেছিল। গবেষণায় দেখা যায় যে, নিউজিল্যান্ডের শিক্ষার্থীদের সঠিক উত্তরের হার জাপানি শিক্ষার্থীদের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। এর কারণ হলো, রেখাচিত্র উপস্থাপনা সমস্যার বাক্যগুলোকে অবস্থানের ভিত্তিতে চিহ্নিত করে, যার ফলে শিক্ষার্থীরা নির্দিষ্ট স্থানে বিস্তারিতভাবে তথ্য পর্যবেক্ষণ করতে পারে এবং সমস্যা বুঝতে সুবিধা হয়।<ref>Uesaka, Y., Manalo, E., & Ichikawa, S. (2007). What kinds of perceptions and daily learning behaviors promote students' use of diagrams in mathematics problem solving?. Learning And Instruction, 17(3), 322-335.</ref>
শিক্ষার্থীদের রেখাচিত্র ব্যবহার করে সমস্যা সমাধানে উদ্বুদ্ধ করতে হলে, শিক্ষককে প্রথমে তাদের শেখাতে হবে— ১) রেখাচিত্র কী, ২) সমস্যার সমাধানে রেখাচিত্র ব্যবহারের গুরুত্ব, ৩) কখন রেখাচিত্র ব্যবহার করতে হবে, ৪) কোন ধরণের রেখাচিত্র কোন সমস্যায় প্রযোজ্য, ৫) কীভাবে রেখাচিত্র তৈরি করতে হয়, এবং ৬) কীভাবে রেখাচিত্র কার্যকরভাবে ব্যবহার করতে হয়। শিক্ষার্থীদের রেখাচিত্রের মৌলিক ধারণাগুলো জানা জরুরি কারণ সব গণিত সমস্যায় রেখাচিত্র প্রযোজ্য নয়। উসাকা ও মানালো দেখিয়েছেন যে শিক্ষার্থীরা সাধারণত দৈর্ঘ্য ও দূরত্ব সম্পর্কিত শব্দ সমস্যায় রেখাচিত্র ব্যবহার করে, কারণ এসব সমস্যা সাধারণত নির্দিষ্ট পরিমাণ এবং বাস্তব সম্পর্ক নিয়ে কাজ করে।<ref>Uesaka, Y., & Manalo, E. (2012). Task-related factors that influence the spontaneous use of diagrams in math word problems. Applied Cognitive Psychology, 26, 251–260.</ref>
এই ধারণাগুলো শেখানোর পর, শিক্ষকরা তিন ধাপের একটি পদ্ধতি— "জিজ্ঞাসা করো, করো, যাচাই করো"— ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ দিতে পারেন।<ref>van Garderen, D., & Scheuermann, A. (2015). Diagramming word problems: A strategic approach for instruction. Intervention in School and Clinic</ref> ভ্যান গার্ডেরেন এবং শুয়ারম্যান পরামর্শ দিয়েছেন যে শিক্ষার্থীরা প্রথমে কোন সমস্যাটি সমাধান করতে হবে তা শনাক্ত করবে; এরপর একটি রেখাচিত্র আঁকবে; শেষে রেখাচিত্র ব্যবহার করে সমস্যাটি সমাধান করবে। উদাহরণস্বরূপ, সমস্যার প্রাসঙ্গিক তথ্য খুঁজে পেতে শিক্ষার্থীরা কী-শব্দ পদ্ধতি ব্যবহার করতে পারে এবং সমস্যায় দেওয়া তথ্য সঠিকভাবে স্থাপন করতে পারে।<ref>Walker, D. W., & Poteet, J. A. (1989-90). A comparison of two methods of teaching mathematics story problem-solving with learning disabled students. National Forum of Special Education Journal, 1, 44-51.</ref>
সারসংক্ষেপে, রেখাচিত্র গণিত সমস্যার সমাধানে একটি কার্যকর কৌশল হতে পারে; এটি শিক্ষার্থীদের সমালোচনামূলক চিন্তায় সহায়তা করে এবং বিকল্প উপায়ে সমস্যার সমাধান করতে সাহায্য করে।
=== অ্যালগরিদম ===
অ্যালগরিদম হলো একাধিক ধাপের একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া যা শিক্ষার্থীদের গণিত সমস্যা সমাধানে সাহায্য করে। যদি তারা প্রতিটি ধাপ অনুসরণ করে, তাহলে তারা প্রতি বারই একটি সঠিক উত্তর বের করতে সক্ষম হয়। অ্যালগরিদম সাধারণত পুনরাবৃত্ত ক্রমের উপর ভিত্তি করে এবং এটি যোগ, বিয়োগ, গুণ ও ভাগে প্রযোজ্য। অ্যালগরিদম ব্যবহার করে শিক্ষার্থীরা প্রতিটি ধাপে কী ঘটছে তা ব্যাখ্যা করতে শেখে এবং ভুল হলে তা শনাক্ত করতে পারে। এটি তাদের সমস্যা সমাধানের সময় প্রতিটি ধাপে মনোযোগ দেওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলে। একাধিক ধাপ বিশিষ্ট সমস্যার সমাধানে, শিক্ষার্থীদের দীর্ঘমেয়াদি স্মৃতি থেকে অ্যালগরিদম স্মরণ করে মানসিকভাবে ধাপগুলো অনুসরণ করতে হয়।
শিক্ষকদের উচিত শিক্ষার্থীদের শেখানো যে অ্যালগরিদম সবসময় ধারাবাহিকভাবে সমাধান করতে হবে; কোনও ধাপ বাদ দেওয়া যাবে না। উদাহরণস্বরূপ, যখন শিক্ষার্থীরা ৫+৮×৬ সমস্যার সমাধান করে, তখন তাদের বুঝতে হবে যে প্রথমে গুণ করতে হবে, এরপর যোগ করতে হবে। যদি তারা সঠিক ক্রম অনুসরণ করে, তাহলে তারা সবসময় সঠিক উত্তর পাবে।
তবে, পল কব একটি গবেষণায় গ্রেড ১ ও ২-এর শিক্ষার্থীদের ডাবল ডিজিট যোগের সমস্যা সমাধান নিয়ে গবেষণা করেন। তিনি দেখেছেন, ১৬+৯ সমাধানে বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করে শিক্ষার্থীরা সঠিক উত্তর দিতে পেরেছে। কিন্তু যখন তাদের ঐ একই সমস্যা প্রচলিত স্কুল অ্যালগরিদম (সংখ্যা হাতে থাকা সহ) ব্যবহার করে উল্লম্বভাবে সমাধান করতে বলা হয়, তখন অনেকেই ভুল উত্তর দেয়। তিনি উপসংহার টানেন যে, প্রচলিত অ্যালগরিদমে শিক্ষার্থীরা কেবল নিয়ম অনুসরণ করতে চেষ্টা করে, কিন্তু কিভাবে অ্যালগরিদমটি কাজ করে তা প্রকৃতপক্ষে বুঝে না বলেই তাদের ভুল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।<ref>Cobb, P. (1991). Reconstructing Elementary School Mathematics. Focus on Learning Problems in Mathematics, 13(2), 3–32.</ref>
জে. এস. ব্রাউন এবং বার্টন দেখেছেন যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিক্ষার্থী ধারাবাহিকভাবে তাদের গাণিতিক সমস্যা সমাধানের জন্য এক বা একাধিক ভুল অ্যালগরিদম ব্যবহার করছে। যদিও অনেক ভুল অ্যালগরিদম সঠিক উত্তর দিতে পারে, তবুও তা সব ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।<ref>Brown, J.S., Burton, R.B. (1978). Diagnostic models for procedural bugs in basic mathematical skills. Cognitive Science, 2, 155-192</ref> উদাহরণস্বরূপ, কিছু শিশুর মনে একটি পূর্বধারণা ছিল যে বিয়োগ অ্যালগরিদম মানে হলো প্রতিটি কলামে উপরের সংখ্যাটির সঙ্গে নিচের সংখ্যাটি তুলনা করে ছোটটি বড় থেকে বিয়োগ করা, উপরের সংখ্যাটি বড় কি না, তা না জেনেই। বাম পাশের চিত্রটি ব্যাখ্যা করে কেন একটি ভুল অ্যালগরিদম সবসময় সঠিক সমাধান দিতে পারে না।
[[চিত্র:Faulty_algorithm_of_subtraction.jpg|থাম্ব|একটি চিত্র যা ব্যাখ্যা করে কেন একটি ভুল অ্যালগরিদম কাজ করে না]]
ব্রাউন এবং বার্টন উল্লেখ করেছেন, এমনকি যেসব শিশু বিয়োগের অ্যালগরিদম সম্পর্কে ভুল ধারণা পোষণ করে, তারা হয়তো মনে করে যে তারা বিয়োগ প্রক্রিয়াটি বুঝে ফেলেছে। এই ভুল ধারণা তাদের (a) ও (c) অংশে সঠিক উত্তর দিতে সাহায্য করতে পারে। কিন্তু (b) ও (d) অংশে ভুল উত্তর দিবে, কারণ সেসব ক্ষেত্রে দ্বিতীয় কলামে উপরের সংখ্যা নিচের চেয়ে ছোট।
নাগেল এবং সুইঙ্গেন মনে করেন, ধারক বা ঋণ নেওয়ার মাধ্যমে প্রচলিত অ্যালগরিদমগুলো কার্যকারিতা এবং নির্ভুলতা বাড়াতে পারে, কিন্তু শিক্ষার্থীদের বোঝার সক্ষমতা বাড়াতে ব্যর্থ হয়।<ref>Nagel, N., & Swingen, C. C. (1998). Students’ explanations of place value in addition and subtraction. Teaching Children Mathematics, 5(3), 164–170.</ref>
সুতরাং, ধারাবাহিক অ্যালগরিদম ব্যবহারে শিক্ষার্থীরা যাতে সফল হয়, এর জন্য শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের জায়গা ভিত্তিক চিন্তাশক্তি ব্যবহার করে ধাপে ধাপে সমাধান শেখানো উচিত। যেমন, সঠিকভাবে সংখ্যাগুলো সাজানো এবং ফাঁকা জায়গা রেখে লেখা শেখাতে হবে—বিশেষ করে কলামভিত্তিক বিয়োগ, একাধিক অঙ্কের গুণ ইত্যাদিতে। শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করতে হবে যেন তারা নিজের অ্যালগরিদম তৈরি করে সমস্যার সমাধান করে। শিক্ষকরা তাদের মনের মধ্যে mnemonics ব্যবহার করতে উদ্বুদ্ধ করতে পারেন; এই পদ্ধতি সমস্যার ধাপগুলো মনে রাখতে সাহায্য করে।<ref>Nelson, P. M., Burns, M. K., Kanive, R., & Ysseldyke, J. E. (2013). Comparison of a math fact rehearsal and a mnemonic strategy approach for improving math fact fluency. Journal Of School Psychology, 51(6), 659-667. doi:10.1016/j.jsp.2013.08.003</ref> যেমন, PEDMAS শিক্ষার্থীদের বলে দেয় কোন ক্রমে গাণিতিক কাজ করতে হবে। শুধু বাম থেকে ডানে গাণিতিক অপারেশন করলেই চলবে না, আগে বন্ধনীর কাজ শেষ করতে হবে।<ref>Jeon, K. (2012). Reflecting on PEMDAS. Teaching Children Mathematics, 18(6), 370-377.</ref> পাশাপাশি শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করবেন যেন তারা প্রথমে পুরো সমস্যাটি পড়ে বোঝে, এরপর সেটিকে ছোট ছোট অংশে ভাগ করে কোন অংশে কোন অ্যালগরিদম লাগবে তা নির্ধারণ করে। প্রতিটি ধাপে তাদের উত্তর পুনর্বিবেচনা করতে শেখানো উচিত। ধাপগুলো লিখে রাখলে শিক্ষার্থীরা ভুল ধরতে পারে এবং শেষ পর্যন্ত সঠিক সমাধানে পৌঁছাতে পারে।
=== শব্দভিত্তিক সমস্যার কৌশল ===
শব্দভিত্তিক সমস্যা সব শিশুদের জন্যই একটি বিশেষ ধরণের চ্যালেঞ্জ, তবে যাদের সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে শেখার অসুবিধা রয়েছে, তাদের জন্য এটি আরও কঠিন। গাণিতিক সমস্যা ও শব্দভিত্তিক সমস্যার মধ্যে প্রধান পার্থক্য হলো ভাষাগত তথ্যের সংযুক্তি। অর্থাৎ, শিশুদের প্রথমে সমস্যাটির লেখা পড়ে প্রাসঙ্গিক তথ্য বাছাই করে সেটিকে সংখ্যাগত সমস্যায় রূপান্তর করতে হয়। এরপর তাদের নির্ধারণ করতে হয় কোন তথ্যটি প্রয়োজনীয় এবং কোনটি অনুপস্থিত।
শব্দভিত্তিক সমস্যা অনেক শিক্ষার্থীর জন্য বোঝা কঠিন, তবে সমস্যাটি আরও জটিল হয় যখন শিক্ষার্থীর প্রথম ভাষা ইংরেজি না হয়। Jan এবং Rodrigues (2012)<ref>Jan, S. and Rodrigues, S., (2012). Students' difficulties in comprehending mathematical word problems in English language learning contexts. International Researcher, Vol. 1, Issue 3, Accessed Dec 4, 2015 from http://www.academia.edu/2078056/STUDENTS_DIFFICULTIES_IN_COMPREHENDING_MATHEMATICAL_WORD_PROBLEMS_IN_ENGLISH_LANGUAGE_LEARNING_CONTEXTS</ref> এর মতে, যাদের ইংরেজি দ্বিতীয় ভাষা, তারা ভাষাগত প্রতিবন্ধকতার কারণে সমস্যার বক্তব্য বুঝতে পারে না। তারা প্রায়শই মূল শব্দের উপর নির্ভর করে অথবা বক্তব্য ভুল ব্যাখ্যা করে, ফলে ভুল সমাধান আসে। মূল শব্দের উপর নির্ভরশীলতা শিক্ষার্থীদের সমস্যা বোঝা থেকে বিচ্যুত করে। "মূল শব্দের ব্যবহার দৈনন্দিন ভাষা ও গাণিতিক ভাষার মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি করতে পারে।"<ref>Jan, S. and Rodrigues, S., (2012). Students' difficulties in comprehending mathematical word problems in English language learning contexts. International Researcher, Vol. 1, Issue 3, P. 156, Accessed Dec 4, 2015 from http://www.academia.edu/2078056/STUDENTS_DIFFICULTIES_IN_COMPREHENDING_MATHEMATICAL_WORD_PROBLEMS_IN_ENGLISH_LANGUAGE_LEARNING_CONTEXTS</ref>
এই গবেষণার ফলাফল থেকে জানা যায় যে শ্রেণিকক্ষে আলোচনা বা ছোট ছোট দলের আলোচনা শিক্ষার্থীদের সমস্যাটি কী এবং কী জানতে চাওয়া হচ্ছে তা পরিষ্কারভাবে বুঝতে সাহায্য করে। শিক্ষার্থীদের পড়া, বোঝা, মতামত বিনিময় এবং বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে সমস্যা ও সমাধান নিয়ে চিন্তা করার সুযোগ দিলে তারা সমস্যাটি আরও ভালোভাবে বুঝতে পারে।
শব্দভিত্তিক সমস্যা শেখানোর ক্ষেত্রে শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের যথেষ্ট সুযোগ দেবেন যেন তারা সমস্যার অর্থ নিয়ে চিন্তা ও আলোচনা করতে পারে এবং সহপাঠীদের সঙ্গে মিলে একাধিক সমাধান ভাবতে পারে। এই পদ্ধতি ভাষাগত সমস্যাযুক্ত শিক্ষার্থী এবং গাণিতিক শেখার সমস্যাযুক্ত শিক্ষার্থীদের জন্য কার্যকর।
শিক্ষা প্রতিবন্ধী পরিষ <ref>http://www.council-for-learning-disabilities.org/mathematics-disabilities</ref> সমস্যা সমাধানে শিক্ষার্থীদের শেখানোর জন্য কিছু কৌশল প্রস্তাব করে:
''ফাস্ট ড্র'' (মার্সার এবং মিলার, ১৯৯২): আপনি কী সমাধান করছেন তা খুঁজে বের করুন।
নিজেকে জিজ্ঞাসা করুন, "সমস্যাটির অংশগুলি কী?"
সংখ্যাগুলি সেট আপ করুন।
চিহ্নটি বেঁধে দিন।
চিহ্নটি আবিষ্কার করুন।
সমস্যাটি পড়ুন।
উত্তর দিন, অথবা আঁকুন এবং পরীক্ষা করুন।
উত্তর লিখুন।
<nowiki>''প্রশ্ন এবং ক্রিয়া''</nowiki> (রিভেরা, ১৯৯৪)
পদক্ষেপ
ক. সমস্যাটি পড়ুন।
প্রশ্ন
এমন কোন শব্দ আছে যা আমি জানি না?
আমি কি প্রতিটি শব্দের অর্থ জানি?
আমার কি সমস্যাটি পুনরায় পড়ার প্রয়োজন?
সংখ্যার শব্দ আছে?
ক্রিয়া
শব্দগুলি নিম্নরেখাঙ্কিত করুন।
সংজ্ঞাগুলি খুঁজে বের করুন।
পুনরায় পড়ুন।
নিম্নরেখাঙ্কিত করুন।
খ. সমস্যাটি পুনরায় বর্ণনা করুন।
কোন তথ্য গুরুত্বপূর্ণ?
কোন তথ্যের প্রয়োজন নেই?
প্রশ্নটি কী জিজ্ঞাসা করা হচ্ছে?
নিম্নরেখাঙ্কিত করুন।
ক্রস আউট করুন।
নিজের শব্দে লিখুন।
গ. একটি পরিকল্পনা তৈরি করুন।
তথ্যগুলো কী কী?
সেগুলো কীভাবে সংগঠিত করা যেতে পারে?
কত ধাপ আছে?
আমি কোন কোন ক্রিয়াকলাপ ব্যবহার করব?
একটি তালিকা তৈরি করুন।
চার্ট তৈরি করুন।
কৌশল ব্যবহার করুন।
ছোট সংখ্যা ব্যবহার করুন।
একটি ক্রিয়াকলাপ নির্বাচন করুন।
ঘ. সমস্যাটি গণনা করুন।
আমি কি সঠিক উত্তর পেয়েছি?
অনুমান করুন।
অংশীদারের সাথে পরীক্ষা করুন।
ক্যালকুলেটর দিয়ে যাচাই করুন।
ঙ. ফলাফল পরীক্ষা করুন।
আমি কি প্রশ্নের উত্তর দিয়েছি?
আমার উত্তর কি যুক্তিসঙ্গত বলে মনে হচ্ছে?
আমি কি প্রশ্ন/উত্তর পুনঃবক্তৃতা করতে পারি?
প্রশ্ন/উত্তর পরীক্ষা করুন।
একটি সংখ্যা বাক্য লিখুন।
৩. <nowiki>''টিআইএনএস কৌশল''</nowiki> (ওওয়েন, ২০০৩)
শব্দ সমস্যা বিশ্লেষণ এবং সমাধানের জন্য ব্যবহৃত বিভিন্ন পদক্ষেপ এই সংক্ষিপ্ত রূপ দিয়ে উপস্থাপন করা হয়েছে।
চিন্তা: এই সমস্যা সমাধানের জন্য আপনার কী করতে হবে তা নিয়ে ভাবুন এবং মূল শব্দগুলিকে বৃত্তাকার করুন।
তথ্য: এই সমস্যা সমাধানের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য বৃত্তাকার করুন এবং লিখুন; একটি ছবি আঁকুন; অপ্রয়োজনীয় তথ্য বাদ দিন।
সংখ্যা বাক্য: সমস্যাটি উপস্থাপনের জন্য একটি সংখ্যা বাক্য লিখুন।
সমাধান বাক্য: আপনার উত্তর ব্যাখ্যা করে এমন একটি সমাধান বাক্য লিখুন।
উদাহরণ: কাইল ৬টি বেসবল কার্ড কিনেছে। পরের দিন, সে তার সংগ্রহে আরও ১১টি কার্ড যোগ করেছে। তার কাছে মোট কতটি কার্ড আছে?
চিন্তা: +
তথ্য: ৬টি বেসবল কার্ড, ১১টি বেসবল কার্ড
সংখ্যা বাক্য: ৬ + ১১ =
সমাধান বাক্য: কাইলের সংগ্রহে ১৭টি বেসবল কার্ড রয়েছে।
৪. <nowiki>''সমস্যা সমাধান''</nowiki> (বীরশ, লিয়ন, ডেনকলা, অ্যাডামস, মোটস এবং স্টিভস, ১৯৯৭)
প্রথমে সমস্যাটি পড়ো।
প্রশ্নটি হাইলাইট করো।
গুরুত্বপূর্ণ তথ্য চিহ্নিত করো।
একটি পরিকল্পনা তৈরি করো।
সংখ্যাগুলো বোঝাতে চিত্র বা বস্তু ব্যবহার করো।
পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করো।
তোমার কাজ যাচাই করো।
==== বীজগণিত শেখানোর জন্য কগনিটিভ টিউটর ====
১৯৮৫ সালে, অ্যান্ডারসন, বয়েল এবং রেইজার বুদ্ধিমান শেখানোর পদ্ধতিতে কগনিটিভ মনস্তত্ত্ব যুক্ত করেন। এরপর থেকে এই পদ্ধতির মাধ্যমে ছাত্রদের শেখানোর জন্য কগনিটিভ মডেল তৈরি করা হয়। এ নাম রাখা হয় কগনিটিভ টিউটরস।<ref name="anderson et al. 1995">Anderson, J. R., Corbett, A. T., Koedinger, K. R., & Pelletier, R. (1995). Cognitive Tutors: Lessons learned. Journal of the Learning Sciences, 4(2), 167.</ref> সবচেয়ে জনপ্রিয় কগনিটিভ টিউটর হলো Cognitive Tutor® Algebra I।<ref name="k&c, 2006">Koedinger, K. R., & Corbett, A. (2006). Cognitive tutors. The Cambridge handbook of the learning sciences, 61-77.</ref> এটি তৈরি করেছে কার্নেগি লার্নিং, ইনকর্পোরেটেড। তারা এখন বীজগণিত I, II, বীজগণিতের সেতু, জ্যামিতি এবং ইন্টিগ্রেটেড ম্যাথ I, II, III সহ সম্পূর্ণ Cognitive Tutor® তৈরি করছে। Cognitive Tutor®-এ এখন স্প্যানিশ মডিউলও যুক্ত হয়েছে।
==== কীভাবে শেখাতে হবে ====
দুটি অন্তর্নির্মিত অ্যালগরিদম—'''''মডেল ট্রেসিং''''' এবং '''নলেজ ট্রেসিং''' শিক্ষার্থীদের শেখার প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করতে সাহায্য করে। মডেল ট্রেসিং শিক্ষার্থীর প্রতিটি ধাপের ভিত্তিতে ঠিক সময়ে প্রতিক্রিয়া, অনুরোধে পরামর্শ এবং বিষয়ভিত্তিক দিকনির্দেশনা দেয়।<ref name="anderson et al. 1995" /> Knowledge tracing প্রতিটি শিক্ষার্থীর পূর্বজ্ঞান অনুযায়ী শেখার কাজ নির্ধারণ করে।<ref name="anderson et al. 1995" /><ref name="k&c, 2006" />
তোমরা ''[http://en.wikibooks.org/wiki/Cognition_and_Instruction/Problem_Solving,_Critical_Thinking_and_Argumentation Problem Solving, Critical Thinking, and Argumentation]'' অধ্যায়ের (2.5.2 Theoretical background of Cognitive Tutor) অংশে গিয়ে বিস্তারিত জানতে পারো কীভাবে কগনিটিভ টিউটর বীজগণিত শেখাতে সাহায্য করে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া, অনুরোধভিত্তিক পরামর্শ, বিষয়ভিত্তিক নির্দেশনা ও ব্যক্তিকৃত কাজের মাধ্যমে।
==== Cognitive Tutor® Algebra I এর মিশ্র প্রভাব ====
কগনিটিভ টিউটরের কার্যকারিতা নিয়ে পূর্ববর্তী গবেষণার প্রমাণ থেকে দেখা যায়, শ্রেণিকক্ষে শিক্ষকের পাঠদানের তুলনায় কগনিটিভ টিউটর অধিক কার্যকর।<ref name="anderson et al. 1995" /><ref>Koedinger, K. R. & Anderson, J. R. (1993). Effective use of intelligent software in high school math classrooms. In Proceedings of the World Conference on Artificial Intelligence in Education, (pp. 241-248). Charlottesv</ref><ref name="K&A&M">Koedinger, K., Anderson, J., Hadley, W., & Mark, M. (1997). Intelligent tutoring goes to school in the big city. Human-Computer Interaction Institute.</ref><ref>Corbett, A. T., & Anderson, J. R. (2001). Locus of feedback control in computer-based tutoring: Impact on learning rate, achievement and attitudes. In Proceedings of the SIGCHI Conference on Human Factors in Computing Systems (pp. 245–252). New York, NY, USA: ACM.</ref>
তবে, ইউএস ডিপার্টমেন্ট অফ এডুকেশনের ইনস্টিটিউট অব এডুকেশন সায়েন্সেস দ্বারা প্রতিষ্ঠিত একটি সাম্প্রতিক স্বাধীন ও বৃহৎ আকারের গবেষণা, *What Works Clearinghouse*,<ref>What Works Clearinghouse (ED). (2016). Carnegie Learning Curricula and Cognitive Tutor[R]. What Works Clearinghouse Intervention Report. What Works Clearinghouse.</ref> Cognitive Tutor® Algebra I সম্পর্কিত ২২টি গবেষণার মধ্যে ৬টি পর্যালোচনা করে, যেখানে ৮ম থেকে ১৩শ গ্রেড পর্যন্ত ১২,৮৪০ জন শিক্ষার্থীকে অন্তর্ভুক্ত করা হয় ১১৮টি স্থানে। গবেষকরা দেখতে পান, Cognitive Tutor® Algebra I এর অ্যালজেব্রা শেখার ক্ষেত্রে মিশ্র ফলাফল পাওয়া গেছে এবং মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের সাধারণ গণিত দক্ষতার ওপর কোনও উল্লেখযোগ্য বা প্রাসঙ্গিক প্রভাব দেখা যায়নি।
মরগান এবং রিটার,<ref>Morgan, P., & Ritter, S. (2002). An experimental study of the effects of Cognitive Tutor® Algebra I on student knowledge and attitude. Pittsburgh, PA: Carnegie Learning, Inc.</ref> ওকলাহোমার মুর শহরের পাঁচটি ভিন্ন স্কুলে নবম শ্রেণির অ্যালজেব্রা ক্লাসে একটি অভ্যন্তরীণ শিক্ষক-ভিত্তিক পরীক্ষামূলক গবেষণা পরিচালনা করেন। এই গবেষণায় প্রতিটি শিক্ষককে অন্তত একটি Cognitive Tutor® Algebra I ইন্টিগ্রেটেড ক্লাসরুম এবং একটি ঐতিহ্যবাহী ক্লাসরুমের দায়িত্ব দেওয়া হয়। ফলাফল থেকে জানা যায়, যারা Cognitive Tutor® ব্যবহার করে শিখেছিল তারা অন্যান্য শিক্ষার্থীদের তুলনায় ভালো ফল করেছিল এবং গণিত বিষয়ে আরও আত্মবিশ্বাসী ও ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছিল।
কাবালো, জাকিউ এবং ভু<ref>Cabalo, J. V., Jaciw, A., & Vu, M. (2007). Comparative effectiveness of Carnegie Learning’s Cognitive Tutor® Algebra I curriculum: A report of a randomized experiment in the Maui School District. Palo Alto, CA: Empirical Education, Inc.</ref> হাওয়াইয়ের মাউই কাউন্টির পাঁচটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে Cognitive Tutor® Algebra I এর কার্যকারিতা পর্যালোচনার জন্য একটি র্যান্ডমাইজড গবেষণা পরিচালনা করেন। ছয় মাসের ব্যবহারের পর ২০০৫-০৬ শিক্ষাবর্ষের শেষে শিক্ষার্থীদের NWEA Algebra End-of-Course Achievement Level Test দিতে বলা হয়। ফলাফল থেকে জানা যায়, শিক্ষার্থীরা সাধারণভাবে Cognitive Tutor® সফটওয়্যার সম্পর্কে ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করে এবং সফটওয়্যার ব্যবহার করুক বা না করুক, বেশিরভাগ শিক্ষার্থীর গণিতে উন্নতি দেখা যায়। তবে, যারা আগে দুর্বল ছিল, তারা ব্যবহার শুরু করার পর উল্লেখযোগ্য উন্নতি করে, যা তুলনামূলকভাবে উচ্চ স্কোরধারীদের চেয়ে বেশি ছিল।
ক্যাম্পুজানো, ডিনারস্কি, আগোদিনি এবং রাল<ref>Campuzano, L., Dynarski, M., Agodini, R., & Rall, K. (2009). The effectiveness of reading and mathematics software products: Findings from two student cohorts. Washington, DC: U.S. Department of Education, Institute of Education Sciences.</ref> একটি ২ বছরব্যাপী কংগ্রেস-অনুমোদিত গবেষণা পরিচালনা করেন প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষণপদ্ধতির কার্যকারিতা যাচাইয়ের জন্য, যার দ্বিতীয় বছরে নয়টি দরিদ্র স্কুলে Cognitive Tutor® Algebra I ব্যবহার করা হয়। গবেষকরা র্যান্ডম কন্ট্রোল ট্রায়াল পদ্ধতি গ্রহণ করেন এবং শিক্ষকদের র্যান্ডমভাবে সফটওয়্যার ব্যবহারে অথবা প্রচলিত পাঠ্যক্রমে ভাগ করে দেন। সব শিক্ষার্থীদের শরৎ ও বসন্তকালে ETS End-of-Course পরীক্ষায় অংশ নিতে হয়। দ্বিতীয় বছরে সফটওয়্যার ব্যবহারকারী শিক্ষার্থীরা প্রথম বছরের তুলনায় উল্লেখযোগ্য উন্নতি দেখায়, যদিও পরীক্ষার স্কোরে হস্তক্ষেপকারী ও তুলনামূলক দলের মধ্যে পার্থক্য ছিল সামান্য (p<0.3)।
প্যান, গ্রিফিন, ম্যাককাফ্রে এবং কারাম<ref>Pane, J. F., Griffin, B. A., McCaffrey, D. F., Karam, R., Daugherty, L., & Phillips, A. (2013). Does an algebra course with tutoring software improve student learning?.</ref> Cognitive Tutor® যুক্ত অ্যালজেব্রা পাঠ্যক্রমের কার্যকারিতা নিরীক্ষার জন্য র্যান্ডম কন্ট্রোল ট্রায়াল পদ্ধতি গ্রহণ করেন। গবেষণা দুটি ধারাবাহিক শিক্ষাবর্ষজুড়ে চলে এবং সফটওয়্যারটি সপ্তাহে তিন দিন শিক্ষক-নির্দেশিত ক্লাসে এবং দুই দিন কম্পিউটার-নির্দেশিত ক্লাসে ব্যবহৃত হয়। প্রথম বছর হাইস্কুল শিক্ষার্থীদের মধ্যে হস্তক্ষেপকারী ও তুলনামূলক দলের মধ্যে শিক্ষাগত সাফল্যে তেমন পার্থক্য দেখা যায়নি (p<0.46)। তবে দ্বিতীয় বছরে Cognitive Tutor® ব্যবহারের ইতিবাচক প্রভাবের প্রমাণ শক্তিশালী ছিল (p<0.04), এবং হস্তক্ষেপকারী দলে যেসব শিক্ষার্থীর সাফল্য আগে কম ছিল, তাদের অগ্রগতি বেশি ছিল।
== শব্দকোষ ==
'''অ্যালগরিদম''' হলো গাণিতিক সমস্যার সমাধানে ব্যবহৃত একাধিক ধাপবিশিষ্ট একটি প্রক্রিয়া, যা সঠিকভাবে প্রয়োগ করলে সঠিক সমাধান প্রদান করে।
'''প্রয়োগ''' ঘটে যখন শিক্ষার্থীরা গাণিতিক ধারণার সঙ্গে দৈনন্দিন জীবনের ঘটনার সম্পর্ক স্থাপন করতে পারে।
'''স্পষ্টীকরণ''' ঘটে যখন শিক্ষার্থীরা কোনো সমস্যার বিভিন্ন দিক চিহ্নিত ও বিশ্লেষণ করে, ফলে তারা সমস্যার সমাধানে প্রয়োজনীয় তথ্য ব্যাখ্যা করতে পারে।
'''শ্রেণিবিন্যাস''' হলো একই রকম বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী বস্তুগুলোকে গোষ্ঠীবদ্ধ করার ক্ষমতা।
'''ধারণাগত জ্ঞান''' হলো মানসিক গঠন যা শিক্ষার্থীদের যুক্তি ও গাণিতিক ধারণা বোঝার ভিত্তি তৈরি করে।
'''ঘোষণামূলক জ্ঞান''' হলো সেই গাণিতিক ধারণা যা দীর্ঘমেয়াদি স্মৃতি থেকে আহরণ করা হয় এবং যেগুলো ব্যবহার করে জটিল সমস্যা সমাধান করা যায়।
'''মূল্যায়ন''' ঘটে যখন শিক্ষার্থীরা একটি নির্দিষ্ট মানদণ্ড অনুসারে সমস্যার সমাধানের সঠিকতা নির্ধারণ করতে পারে।
'''অনুমান''' ঘটে যখন শিক্ষার্থীরা সাধারণ ধারণা নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে প্রয়োগ করে এবং বস্তুসমূহের মধ্যে পার্থক্য ও সাদৃশ্য নির্ধারণ করতে পারে।
'''অন্তঃপ্রণোদনা''' হলো এমন একটি অভ্যন্তরীণ ইচ্ছা যা শিক্ষার্থীদের নিজেদের আগ্রহে কোনো কাজ করতে উদ্বুদ্ধ করে।
'''মেটাকগনিটিভ''' হলো নিজের চিন্তা ও শেখার নিয়ন্ত্রণে ব্যবহৃত জ্ঞান।
'''পদ্ধতিগত জ্ঞান''' হলো সমস্যা সমাধানের কৌশলের ধাপসমূহ সম্পর্কে জ্ঞান।
'''ক্রমবিন্যাস''' হলো বস্তুগুলোর আকার অনুযায়ী (যেমন: দৈর্ঘ্য, ওজন, আয়তন) ছোট থেকে বড় বা বড় থেকে ছোটভাবে সাজানোর ক্ষমতা।
'''স্বনিয়ন্ত্রিত শেখা''' হলো নিজের শেখা নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা, শুরু থেকে নিজের পারফরম্যান্স মূল্যায়ন পর্যন্ত।
'''স্বল্পমেয়াদী স্মৃতি''' এমন তথ্য সাময়িকভাবে ধারণ করে যা ব্যবহৃত হবে, তবে তা পরিবর্তিত হবে না।
'''কার্যকরী স্মৃতি''' হলো একটি ব্যবস্থাপনা যা নতুন বা পূর্ববর্তী তথ্যকে অস্থায়ীভাবে ধরে রাখে, যাতে তা বর্তমান কাজে ব্যবহার করা যায়।
== প্রস্তাবিত পাঠ ==
# নবীন শিক্ষকদের গণিতের সমস্যা সমাধানের বিশ্বাস এবং উপলব্ধির একটি কেস স্টাডি। ''Baker, C. K. (২০১৫)। নবীন শিক্ষকদের গণিতের সমস্যা সমাধানের বিশ্বাস এবং উপলব্ধির একটি কেস স্টাডি। গবেষণামূলক অ্যাবস্ট্রাক্ট ইন্টারন্যাশনাল সেকশন এ, ৭৫''
# পাইগেট এবং ভাইগটস্কি: অনেক সাদৃশ্য, এবং একটি গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য। ''Lourenço, O. (২০১২)। পাইগেট এবং ভাইগটস্কি: অনেক সাদৃশ্য, এবং একটি গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য। মনোবিজ্ঞানে নতুন ধারণা, ৩০ (৩), ২৮১-২৯৫। doi:10.1016/j.newideapsych.2011.12.006''
== তথ্যসূত্র ==
* ফুচস, এলএস, ফুচস, ডি, স্টুবিং, কে, ফ্লেচার, জেএম, হ্যামলেট, সিএল, এবং ল্যামবার্ট, ডাব্লু (২০০৮)। সমস্যা সমাধান এবং গণনামূলক দক্ষতা: তারা গাণিতিক জ্ঞানের ভাগ বা স্বতন্ত্র দিক? শিক্ষাগত মনোবিজ্ঞান জার্নাল ১০০ (১), ৩০
* হানিচ, এলবি, জর্ডান, এনসি, কাপলান, ডি, এবং ডিক, জে (২০০১)। "শেখার প্রতিবন্ধী শিশুদের মধ্যে গাণিতিক জ্ঞানের বিভিন্ন ক্ষেত্র জুড়ে পারফরম্যান্স"। শিক্ষাগত মনোবিজ্ঞান জার্নাল, ৯৩, ৬১৫–৬২৬।
* রাউর্ক, বিপি, এবং ফিনলেসন, এমএজে (১৯৭৮)। "একাডেমিক দক্ষতার নিদর্শনগুলোর বিভিন্নতার নিউরোপাইকোলজিকাল তাত্পর্য: মৌখিক এবং ভিজ্যুয়াল-স্থানিক ক্ষমতা"। অস্বাভাবিক শিশু মনোবিজ্ঞান জার্নাল, ৬, ১২১–১৩৩।
* সোয়ানসন, এইচএল, এবং বিবে-ফ্রাঙ্কেনবার্গার, এম (২০০৪)। "গুরুতর গণিতের অসুবিধার ঝুঁকিতে থাকা এবং ঝুঁকিতে থাকা শিশুদের মধ্যে কার্যকর স্মৃতি এবং গাণিতিক সমস্যা সমাধানের মধ্যে সম্পর্ক"। শিক্ষাগত মনোবিজ্ঞান জার্নাল, ৯৬, ৪৭১–৪৯১।
* সোয়ানসন, এইচ এল (২০০৩)। "শেখার অক্ষম এবং দক্ষ পাঠকদের কাজের মেমরিতে বয়স-সম্পর্কিত পার্থক্য"। পরীক্ষামূলক শিশু মনোবিজ্ঞান জার্নাল, ৮৫, ১–৩১।
{{সূত্র তালিকা}}{{সূত্র তালিকা}}
48duruasxeraq9v9a1ln25pq7xd7ph3
84671
84670
2025-06-17T19:22:50Z
NusJaS
8394
/* শব্দকোষ */
84671
wikitext
text/x-wiki
গণিতের বিভিন্ন শাখা রয়েছে যেমন জ্যামিতি, বীজগণিত, ক্যালকুলাস এবং সম্ভাব্যতা; প্রতিটি ক্ষেত্রেই রয়েছে বিশেষ ধরনের ধারণা ও পদ্ধতির দক্ষতা অর্জনের প্রয়োজন। শিক্ষাদান এবং শেখার ক্ষেত্রে যে চ্যালেঞ্জগুলো থাকে, তা বোঝা ও অতিক্রম করা যায় জ্ঞানীয় প্রক্রিয়ার বিশ্লেষণের মাধ্যমে। এই অধ্যায়ে আমরা গণিত শিক্ষায় প্রাসঙ্গিক জ্ঞানীয় তত্ত্ব ও গবেষণা পর্যালোচনা করব। আমরা পাইজেটের জ্ঞানীয় বিকাশ তত্ত্বের প্রাসঙ্গিক দিকগুলো এবং এই তত্ত্বের সমালোচনা আলোচনা করব। আমরা ব্যাখ্যা করব কীভাবে বিভিন্ন বিষয় একজন শিক্ষার্থীর গণিত শেখার সক্ষমতাকে প্রভাবিত করে এবং কীভাবে শিক্ষকরা পাঠ পরিকল্পনার সময় এই বিষয়গুলো বিবেচনায় নিতে পারেন।
==গণিত কী?==
গণিত হলো সংখ্যা, পরিমাণ, জ্যামিতি এবং স্থান ও এদের পারস্পরিক সম্পর্ক এবং কার্যাবলীর অধ্যয়ন। এটি '''ধারণাগত, প্রক্রিয়াগত এবং ঘোষণামূলক জ্ঞান'''-এর সংমিশ্রণ ব্যবহার করে।<ref>Wong, B., Graham, L., Hoskyn, M., & Berman, J. (Eds.). (2008). ''The ABCs of learning disabilities'' (2nd ed.). Boston: Elsevier Academic Press. </ref> গণিত সমস্যার সফল সমাধানের জন্য শিক্ষার্থীদের এই জ্ঞানসমষ্টি অর্জন করতে হয়। গণিতে সঠিকভাবে সম্পৃক্ত হওয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের আগে ধারণাগত জ্ঞান অর্জন করতে হবে, যার জন্য পূর্বে শেখা ধারণাগুলোর প্রয়োগ দরকার হয়। গণিতের ধারণাগত জ্ঞান অন্য সব গণিত-সম্পর্কিত দক্ষতার উন্নয়নে সহায়তা করে যেমন: ইতিবাচক মনোভাব, প্রক্রিয়াগত দক্ষতা, কৌশলগত পারদর্শিতা এবং অভিযোজিত যুক্তিশক্তি। একটির বিকাশ অন্যগুলোকেও শক্তিশালী করে এবং এতে সামগ্রিক জ্ঞান বৃদ্ধি পায়। অর্থাৎ, ধারণাগত জ্ঞান প্রক্রিয়াগত জ্ঞানকে সমৃদ্ধ করে, এবং এই ধারাটি চলতে থাকে।<ref>Bruning, R., Schraw, G., & Norby, M. (2011). ''Cognitive Psychology and Instruction'' (5th ed.). Boston: Pearson Education.</ref> উদাহরণস্বরূপ, গণিতে অনেক ধরনের অ্যালগরিদম রয়েছে যেগুলো শিক্ষার্থীদের জানা প্রয়োজন। যখন শিক্ষার্থীরা গণিতের মূলনীতি ও ধারণাগুলো পরিষ্কারভাবে বুঝতে পারে, তখন তারা যেকোনো সমস্যার জন্য যথাযথ অ্যালগরিদম বেছে নিয়ে তা প্রয়োগ করতে সক্ষম হয়। এটি ধারণাগত ও প্রক্রিয়াগত জ্ঞানের সংযোগ নির্দেশ করে কারণ শিক্ষার্থীরা অনেক কৌশল শিখলেও সঠিকটি বেছে নেওয়া এবং তা প্রয়োগ করাই মূল বিষয়।<ref>Bruning, R., Schraw, G., & Norby, M. (2011). ''Cognitive Psychology and Instruction'' (5th ed.). Boston: Pearson Education.</ref> এছাড়াও, জটিল গণিত সমস্যার সমাধানে কোনো প্রক্রিয়া সফল হলে বা ব্যর্থ হলে শিক্ষার্থীরা প্রায়ই সেখান থেকে আরও শিখতে পারে। ভুলের মাধ্যমে আত্ম-প্রশ্ন করে তারা নিজের বিদ্যমান জ্ঞান পুনর্গঠন করতে পারে এবং ফলে তাদের ধারণাগত জ্ঞান বৃদ্ধি পায়। ঘোষণামূলক জ্ঞান ধারণাগত ও প্রক্রিয়াগত জ্ঞানের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত কারণ এতে শিক্ষার্থীদের দীর্ঘমেয়াদি স্মৃতি থেকে ধারণা (ধারণাগত জ্ঞান) ও নির্দিষ্ট অ্যালগরিদম (প্রক্রিয়াগত জ্ঞান) পুনরুদ্ধার করতে হয়। এই তিনটি ক্ষেত্রের যেকোনো একটির ঘাটতি গণিত শেখায় অসুবিধা সৃষ্টি করতে পারে।<ref>Wong, B., Graham, L., Hoskyn, M., & Berman, J. (Eds.). (2008). ''The ABCs of learning disabilities'' (2nd ed.). Boston: Elsevier Academic Press.</ref> সুতরাং, এই তিন ধরনের জ্ঞানের সংমিশ্রণ একে অপরের সঙ্গে সংযুক্ত থাকায় তা শিক্ষার প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করে।
==জ্ঞানীয় তত্ত্ব এবং গণিত==
===পাইজেটের জ্ঞানীয় বিকাশ তত্ত্ব===
জঁ পাইজেট জন্ম থেকে কৈশোর পর্যন্ত জ্ঞানীয় বিকাশকে চারটি ধাপে ভাগ করেছেন: সংবেদনশীল গতি (জন্ম থেকে ২ বছর), প্রাক-পরিচালন (প্রায় ২ থেকে ৭ বছর), কংক্রিট অপারেশনাল (প্রায় ৭ থেকে ১১ বছর), এবং ফর্মাল অপারেশনাল (প্রায় ১১ থেকে ১৫ বছর)। যদিও সবাই এই ধাপগুলোতে ভিন্নভাবে অগ্রসর হয়, পাইজেট বিশ্বাস করতেন প্রতিটি শিশু পর্যায়ক্রমে প্রতিটি ধাপ অতিক্রম করবে এবং কেউ কোনো ধাপ বাদ দেবে না কারণ পূর্ববর্তী ধাপ না শেখা পর্যন্ত পরবর্তী ধাপে যাওয়া সম্ভব নয়; সময়ের বিষয় মাত্র।<br />
পাইজেট আরও বলেন, শিশুর শেখা মূলত জন্ম থেকে ২ বছর পর্যন্ত চলাফেরা ও পাঁচটি ইন্দ্রিয়ের মাধ্যমে গঠিত হয়। জন্মের কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই শিশু বস্তু অনুসরণ এবং ধরার চেষ্টা শুরু করে, যা চোখ ও চলন সংক্রান্ত মস্তিষ্কের অংশগুলোকে বিকশিত করতে সাহায্য করে। একবার শিশু বুঝে যায় যে শেখা পুনরাবৃত্তির মাধ্যমে হয়, তখন তারা নিজেরা পরিকল্পনা করে কাঙ্ক্ষিত বস্তু পেতে দক্ষ উপায়ে কাজ করে। পাইজেট দাবি করেন যে এই পর্যায়ে শিশুরা সংখ্যাকে বস্তুর সঙ্গে সংযুক্ত করতে পারে<ref>Piaget, J. (1977). Epistemology and psychology of functions. Dordrecht, Netherlands: D. Reidel Publishing Company.</ref> এবং এমনও প্রমাণ আছে যে শিশুরা সংখ্যার ধারণা ও গণনার কিছু ধারণা ইতোমধ্যেই অর্জন করে<ref>Fuson, K. C. (1988). Children’s counting and concepts of numbers. New York: Springer.</ref>। এই পর্যায়ে শিশুদের গণিত দক্ষতা গঠনের জন্য শিক্ষকরা এমন কার্যক্রম দিতে পারেন যাতে সংখ্যা ও গণনা যুক্ত থাকে। যেমন, ছবি যুক্ত বই পড়ানো যেতে পারে। এতে শিশুরা বস্তুর ছবি ও সংশ্লিষ্ট সংখ্যার মধ্যে সম্পর্ক তৈরি করতে শিখবে এবং পড়া ও অনুধাবন ক্ষমতাও বাড়বে। এই সময়ে পাইজেট দেখিয়েছেন যে শিশুরা নিজেরাই বস্তু ও জ্ঞানের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করতে পারে, যা বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশে সহায়তা করে।<ref>Piaget, J. (1963). The origins of intelligence in children. New York, NY: W.W. Norton & Company, Inc.</ref> যেহেতু পাইজেট মনে করতেন, একজন ব্যক্তির আগে অর্জিত জ্ঞানের ওপর ভিত্তি করে পরবর্তী ধাপে যেতে হয়, তাই সংখ্যা সম্পর্কে শিশুদের বোঝাপড়া বাড়ানোর জন্য এমন কার্যক্রমের মাধ্যমে গণিতের ভিত্তি তৈরি করা উচিত যাতে গণনা অন্তর্ভুক্ত থাকে।<br />
প্রায় ২ থেকে ৭ বছর বয়সে শিশুরা ভাষা, প্রতীকী চিন্তা, আত্মকেন্দ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি এবং সীমিত যৌক্তিকতা অর্জন করে। এই সময়ে তারা সংখ্যা বা ব্লকের মতো বস্তুর মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করতে শেখে। যদিও তারা সংখ্যার কিছু ধারণা অর্জন করে, তবে তাদের যৌক্তিক ক্ষমতা সীমিত থাকে এবং তারা বিপরীত ক্রমে কার্য পরিচালনা করতে পারে না। যেমন, যারা বুঝতে পারে ৫+৩ = ৮, তারা বুঝতে নাও পারে ৩+৫ = ৮। পাইজেটের মতে, কারণ তারা কোনো একটি দিক বুঝলে অন্য দিক হারিয়ে ফেলে। এই সময়ে শিক্ষকেরা শিশুদের দিয়ে নির্দিষ্ট গঠন তৈরি করতে পারে ব্লক দিয়ে। এতে তারা একজাতীয় বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে গোষ্ঠীভুক্ত করতে শিখবে এবং বুঝবে একাধিক উপায়ে এটি তৈরি করা যায়।<ref>Thompson, C. S. (1990). Place value and larger numbers. In J. N. Payne (Ed.), Mathematics for young children (pp. 89–108). Reston, VA: National Council of Teachers of Mathematics.</ref> <br />
৭ থেকে ১১ বছর বয়সে শিশুরা জ্ঞানীয়ভাবে দ্রুত বিকশিত হয়। তারা একাধিক দিক বা মাত্রা বুঝতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, পাইজেট একটি পরীক্ষায় একই পরিমাণ তরলকে ভিন্ন আকারের বোতলে ঢেলে দেখিয়েছিলেন — এই পর্যায়ের শিশুরা বুঝতে পারে তরলের উচ্চতা কেন পরিবর্তন হয়। এই সময়ে ‘শ্রেণিবিন্যাস’ ও ‘সিরিয়েশন’-এর দক্ষতা গড়ে ওঠে<ref>Piaget, J. (1977). Epistemology and psychology of functions. Dordrecht, Netherlands: D. Reidel Publishing Company.</ref>। তারা একজাতীয় বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে বস্তু শ্রেণিবদ্ধ করতে শেখে এবং বৃদ্ধিপ্রাপ্ত বা হ্রাসপ্রাপ্ত মান অনুযায়ী সাজাতে শেখে। যদিও এই পর্যায়ে তারা মৌলিক গণনাগুলো জানতে পারে, তবে বাস্তব সমস্যায় তা প্রয়োগ করতে পারে না। যেমন, ৩টি সারিতে ৫টি ব্লক দিয়ে তৈরি গঠনের সংখ্যা গণনা করতে বললে, তারা গুণের ধারণা ব্যবহার করে না। অর্থাৎ, এই সময়ে তাদের গাণিতিক ধারণাগুলো বাস্তব বস্তুর সঙ্গে সংযুক্ত থাকতে হয়। তারা এখনো পরিমাপের উপর ভিত্তি করে সুনির্দিষ্ট পদ্ধতি তৈরি করতে সক্ষম নয়।<br />
১১ থেকে ১৫ বছর বয়সে শিশুরা নিজেরাই তত্ত্ব তৈরি করতে এবং গণিতের ধারণা গঠন করতে পারে। তারা বিমূর্ত ধারণাকে বাস্তব পরিস্থিতির সঙ্গে মিলিয়ে নিতে পারে। যেমন, তারা এখন অ্যালজেব্রার একটি সমস্যা নিজে নিজে সমাধান করতে পারে, যেখানে আগে শিক্ষককে বাস্তব উদাহরণ দিতে হতো। তারা কারণ নির্ণয়, ব্যাখ্যা, বিশ্লেষণ এবং প্রয়োগ করতে শেখে। শিক্ষকেরা তাদের শেখাতে পারেন কীভাবে শব্দের সমস্যা বিশ্লেষণ করতে হয় এবং কোন তথ্য প্রাসঙ্গিক আর কোনটা নয় তা বোঝাতে হয়।<br />
পাইজেট মনে করতেন, যদি কোনো শিশু কোনো ধারণা বুঝতে ব্যর্থ হয়, তবে সেটির কারণ হচ্ছে সমস্যা থেকে সরাসরি গাণিতিক রূপান্তরে যাওয়ার চেষ্টা। তার মতে, শিশুদের শেখাতে হলে এমন পদ্ধতি নিতে হবে যা তাদের নিজে আবিষ্কার করতে উৎসাহ দেয়, যাতে তারা নিজেরাই ধারণা গড়ে তুলতে পারে, পরিবর্তে শিক্ষক তাদের সরাসরি উত্তর না দিয়ে। <ref>Piaget, J. (1968). Genetic epistemology. New York, NY: Columbia University Press Retrieved June 13, 2003 from the World Wide Web: http://www.marxists.org/reference/subject/philosophy/works/fr/piaget.htm</ref>
=== পাইগেট তত্ত্বের সমালোচনা ===
{| class="wikitable"
!পাইগেটের জ্ঞানীয় বিকাশের বিশ্বাস
!সমালোচনা
|-
|১) শিশুরা বস্তুর স্থায়িত্ব বোঝার বিকাশ শুরু করে
|
* পাইগেট শিশুদের অনুপ্রেরণার প্রয়োজনীয়তা উপেক্ষা করেছিলেন
* শিশুদের স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়
|-
|২) শিশুদের সংবেদনশীল ক্ষমতা এবং জ্ঞানীয় বিকাশ তাদের জন্মের প্রথম ৬ মাসের মধ্যে ঘটে
|
* সমস্ত শিক্ষার্থী একই নয়, তাদের অনন্য দক্ষতার ভিত্তিতে তাদের উচ্চতর বা নিম্ন বিভাগে স্থাপন করা যেতে পারে
|-
|৩) প্রতিটি শিশু একটি নির্দিষ্ট ক্রমে চারটি পর্যায়ের অভিজ্ঞতা অর্জন করবে
|
* পাইগেট বংশগতি, সংস্কৃতি এবং শিক্ষার মতো বাহ্যিক কারণগুলোকে অবহেলা করেছিলেন
|-
|৪) পাইগেট জ্ঞানীয় বিকাশকে নির্দিষ্ট পর্যায়ে পৃথক করে
|
* জ্ঞানীয় বিকাশের পর্যায়গুলো ধীরে ধীরে এবং ক্রমাগত অগ্রগতি হিসাবে দেখা উচিত
|}
যদিও আধুনিককালে শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের জ্ঞানীয় বিকাশ পর্যবেক্ষণের জন্য পাইগেটের তত্ত্ব ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়, তবুও এ নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। অনেক শিক্ষাবিদ পাইগেটের তত্ত্বের উপর নির্ভর করে শিক্ষার্থীদের গাণিতিক শিক্ষার উপযুক্ততা পরিমাপ করেন। অন্যদিকে, হিবার্ট ও কার্পেন্টার মত দিয়েছেন যে, পাইগেটের তত্ত্ব তেমন কার্যকর নির্দেশনা নয়, কারণ বহু গবেষণায় প্রমাণ হয়েছে যে, অনেক শিশু যারা পাইগেটের তত্ত্ব অনুসরণ করতে পারে না, তারাও গাণিতিক ধারণা ও দক্ষতা অর্জনে সক্ষম।<ref>Hiebert, J., and T. P. Carpenter. "Piagetian Tasks as Readiness Measures in Mathematics Instruction: A CriticalReview." EDUCATIONAL STUDIES IN MATHEMATICS 13: 329-345, 1982</ref>
পাইগেট যেখানে শিশুর অভ্যন্তরীণ জ্ঞান অনুসন্ধানের উপর গুরুত্ব দেন এবং বিশ্বাস করতেন যে, জন্ম থেকে দুই বছর পর্যন্ত শিশু বস্তু স্থায়ীত্ব (যেমন: লুকানো বস্তু খোঁজার ধারণা) শেখে, অন্য গবেষকরা বলেন, পাইগেট শিশুদের প্রেরণার প্রয়োজনীয়তাকে অবহেলা করেছেন। বার্গার মনে করেন বাহ্যিক প্রেরণা ও শিক্ষাও গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলে।<ref>Berger, K.S. (1988). The developing person through the life span (2nd ed.). New York: Worth Publishers Ltd.</ref>
ক্যাগান বিশ্বাস করেন, শিশু যখন স্থান পরিবর্তনের পরও বস্তু স্পর্শ করতে পারে, এর পেছনের কারণ তাদের মস্তিষ্কের স্মৃতি ধারণক্ষমতার বৃদ্ধি, পাইগেটের ধারণার মতো নতুন কোনো জ্ঞানীয় গঠনের কারণে নয়।<ref>Berger, K.S. (1988). The developing person through the life span (2nd ed.). New York: Worth Publishers Ltd.</ref>
পাইগেটকে সমালোচনা করা হয়েছে শিশুদের সামর্থ্য নিয়ে অতিরিক্ত সাধারণায়নের জন্য। তিনি সিদ্ধান্তে এসেছিলেন, শিশুর সংবেদনশীলতা ও জ্ঞানীয় বিকাশ জন্মের প্রথম ছয় মাসেই ঘটে। যদিও পাইগেট বিশ্বাস করতেন, প্রতিটি শিশু নির্দিষ্ট ধাপে নির্দিষ্ট ক্রমে অগ্রসর হয়, হেউভেল-পানহুইজে বলেন, পাইগেটের তত্ত্ব ছোট শিশুদের সামর্থ্যকে অবমূল্যায়ন করে। উদাহরণস্বরূপ, তিনি দেখান যে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষকেরা যদি শুধুমাত্র পাইগেটের ধাপভিত্তিক তত্ত্বে বিশ্বাস করেন, তবে তারা শিশুদের প্রতীকের জ্ঞান, গণনার ক্রম ও গাণিতিক ক্রিয়ার সামর্থ্য সম্পর্কে ভুল ধারণা পোষণ করতে পারেন।<ref>Cross, C. (2009). The Early Childhood Workforce and Its Professional Development. In Mathematics learning in early childhood paths toward excellence and equity. Washington, DC: National Academies Press.</ref>
বার্গার আরও বলেন, শিশুদের পার্সেপচুয়াল শেখা (ধারণাগত শেখা) জন্মের আগেই শুরু হতে পারে।<ref>Berger, K.S. (1988). The developing person through the life span (2nd ed.). New York: Worth Publishers Ltd.</ref> যদিও একটি নির্দিষ্ট বয়স অনুযায়ী একটি শিশু নির্দিষ্ট ধাপে থাকবে, তবুও সব শিক্ষার্থী একরকম নয়। তাদের স্বতন্ত্র দক্ষতার ভিত্তিতে তারা হয়তো কোনো উচ্চতর বা নিম্নতর ধাপে অবস্থান করতে পারে।
উদাহরণস্বরূপ, গেলম্যান ও গ্যালিস্টেল দেখান যে, প্রিপারেশনাল ধাপে থাকা শিশুরাও বস্তু গণনার ক্ষেত্রে বিমূর্ত চিন্তা করতে পারে। এছাড়াও, পাইগেট শিশুদের আবেগ ও ব্যক্তিত্ব বিকাশ নিয়ে স্পষ্ট কোনো ধারণা দেননি। যদিও তিনি বুদ্ধিমত্তা ও স্মৃতিশক্তির বিকাশ মাপার কার্যকর পদ্ধতি ব্যাখ্যা করেছেন, তিনি সৃজনশীলতা ও সামাজিক যোগাযোগের গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো উপেক্ষা করেছেন।<ref>Papalia, D. E., Olds, S. W., and Feldman, R. D. (1998). Human development(7th ed.). Boston: McGraw-Hill.</ref>
ক্রিস্টিনা এর্নেলিং যুক্তি দেন যে, উন্নয়নের ধারা বোঝা সম্ভব যদি শিশুদের সঠিক পরিবেশে রাখা যায়। তার মতে, যেকোনো শেখার ধারণা বিশদ শিক্ষাতত্ত্বের উপর ভিত্তি করে হতে হবে এবং জ্ঞানীয় বিকাশ বোঝার জন্য ব্যক্তির সামাজিক ও সাংস্কৃতিক পটভূমির ভিন্নতা স্বীকৃতি দিতে হবে। অর্থাৎ, পাইগেট সংস্কৃতির প্রভাব উপেক্ষা করেছেন। কারণ তার গবেষণা ছিল পশ্চিমা দেশে, তাই তার তত্ত্ব হয়তো শুধু পশ্চিমা সমাজ ও সংস্কৃতিকে প্রতিনিধিত্ব করে।
পাইগেটের মতে, বৈজ্ঞানিক চিন্তা ও আনুষ্ঠানিক চিন্তাশক্তি নির্দিষ্ট ধাপে পৌঁছেই বিকাশ পায়। অন্যদিকে, এডওয়ার্ডস ও অন্যান্য গবেষকরা বলেন, পাইগেটের গবেষণায় নিয়ন্ত্রণ ও নমুনার সীমাবদ্ধতার কারণে তার গবেষণা অবিশ্বস্ত। তারা বলেন, অন্যান্য সংস্কৃতিতে সাধারণ ধাপের অপারেশনগুলো বেশি গুরুত্ব পেতে পারে।<ref>Edwards, L., Hopgood, J., Rosenberg, K., & Rush, K. (2000). Mental Development and Education. Retrieved April 25, 2009, from Flinders University</ref>
বার্গার পাইগেটের নির্দিষ্ট ধাপের বিপক্ষে যুক্তি দেন। তিনি মনে করেন, পাইগেট শিশুদের অভ্যন্তরীণ জ্ঞানের সন্ধানকে গুরুত্ব দিলেও, বংশগতি, সংস্কৃতি ও শিক্ষার মতো বাহ্যিক বিষয়গুলো উপেক্ষা করেছেন। তিনি বলেন, পাইগেটের জ্ঞানীয় বিকাশের ধাপগুলোকে বরং একটানা ধাপে ধাপে অগ্রগতির মতো দেখা উচিত, নির্দিষ্ট করে ভাগ না করে।<ref>Berger, K.S. (1988). The developing person through the life span (2nd ed.). New York: Worth Publishers Ltd.</ref>
পাইগেটের তত্ত্বের আরও সমালোচনা হয়েছে, কারণ তার সর্বশেষ ধাপে জ্ঞানীয় বিকাশ যথেষ্ট স্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করা হয়নি। তিনি মনে করতেন, ১১ থেকে ১৫ বছর বয়সের মধ্যে সবাই বিমূর্ত যুক্তি বিকাশে সক্ষম হয়। অন্যদিকে, প্যাপালিয়া ও অন্যান্যরা বিশ্বাস করেন, সবাই এই সময়ে আনুষ্ঠানিক চিন্তাশক্তি অর্জন করতে পারে না, এবং তাতে তারা অপরিণত নয়—বরং তাদের চিন্তাভাবনার পরিপক্বতার ধরণ ভিন্ন।<ref>Papalia, D.E., Olds, S.W., & Feldman, R.D. (1998). Human development (7th ed.). Boston: McGraw-Hill.</ref>
অতএব, জ্ঞানীয় বিকাশকে বরং একটি অনিয়মিত প্রক্রিয়া হিসেবে বিবেচনা করা উচিত, যেখানে প্রতিটি শিশু ধাপে ধাপে নিজস্ব গুণাবলি ও আচরণগত দক্ষতা অর্জন করে।<ref>Berger, K.S. (1988). The developing person through the life span (2nd ed.). New York: Worth Publishers Ltd.</ref>
=== জ্ঞানীয় ক্ষেত্র= ===
পাইগেটের পর থেকে জ্ঞানীয় তত্ত্ব ও গাণিতিক শিক্ষার মধ্যে সম্পর্ক অনেকদূর এগিয়েছে। অসংখ্য গবেষণায় দেখা গেছে, বিভিন্ন জ্ঞানীয় দক্ষতা ও গাণিতিক দক্ষতার মধ্যে সম্পর্ক রয়েছে। ১৯৭৮ সালেই গবেষকেরা মস্তিষ্ক-সম্পর্কিত আচরণ ও একাডেমিক দক্ষতার মধ্যে সম্পর্ক খুঁজে পান। রাউর্ক ও ফিনলেসন ৯-১৪ বছর বয়সী শেখার অসুবিধায় ভোগা শিশুদের নিয়ে গবেষণা করে দেখান, যেসব শিশুর অ্যারিথমেটিক দক্ষতা নেই, তাদের ডান মস্তিষ্কের গোলার অকার্যকারিতার মতো আচরণ দেখা যায়।<ref>Rourke, B. P., & Finlayson, M. A. J. (1978). Neuropsychological significance of variations in patterns of academic skills: Verbal and visual-spatial abilities. Journal of Abnormal Child Psychology, 6, 121–133.</ref>
সম্প্রতিকালে আরও সূক্ষ্ম জ্ঞানীয় দক্ষতা ও গণিতে ঘাটতির মধ্যকার সম্পর্ক চিহ্নিত হয়েছে।
২০০১ সালে হ্যানিচ, জর্ডান, কাপলান ও ডিক ২য় শ্রেণির শিক্ষার্থীদের গাণিতিক পারফরম্যান্স বিশ্লেষণ করেন।<ref>Hanich, L. B., Jordan, N. C., Kaplan, D., & Dick, J. (2001) Performance across different areas of mathematical cognition in children with learning disabilities. Journal of Educational Psychology, 93, 615–626.</ref>
তারা শিক্ষার্থীদের চারটি দলে ভাগ করেন: সাধারণভাবে সফল শিক্ষার্থী, শুধুমাত্র গণিতে দুর্বল, শুধুমাত্র পড়ায় দুর্বল, এবং উভয় বিষয়ে দুর্বল। প্রত্যেককে সাতটি গাণিতিক পরীক্ষায় অংশ নিতে বলা হয়:
ক) নির্দিষ্ট গণনা খ) গল্পভিত্তিক সমস্যা গ) আনুমানিক গণনা ঘ) স্থানীয় মান ঙ) গণনার নীতি চ) সংখ্যা স্মরণ ছ) লিখিত গণনা।
তারা দেখেন, যারা গণনা ও পড়া উভয় ক্ষেত্রেই দুর্বল, তারা গল্প সমস্যা ও প্রচলিত গণনায় দুর্বল। তবে যারা শুধু গণিতে দুর্বল, তারা শুধু প্রচলিত গণনায় দুর্বলতা দেখায়। এ থেকে গবেষকেরা সিদ্ধান্তে আসেন, গণিতে একাধিক জ্ঞানীয় ক্ষেত্র রয়েছে এবং প্রতিটি ক্ষেত্র মস্তিষ্কের ভিন্ন প্রক্রিয়া ব্যবহার করে।
ফুচস, ফুচস, স্টুয়েবিং, ফ্লেচার, হ্যামলেট ও ল্যাম্বার্ট (২০০৮) লক্ষ্য করেন, প্রচলিত গণনার সফলতা নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ কিছু পূর্বাভাসদাতা হচ্ছে: ক) কর্মরত স্মৃতি খ) দৃশ্য-স্থানিক কর্মরত স্মৃতি গ) মনোযোগ রেটিং ঘ) ধ্বনিতাত্ত্বিক প্রক্রিয়াকরণ ঙ) শব্দভাণ্ডারের জ্ঞান<ref>Fuchs, L. S., Fuchs, D., Stuebing, K., Fletcher, J.M., Hamlett, C. L. , & Lambert, W. (2008). Problem solving and computational skill: Are they shared or distinct aspects of mathematical cognition? Journal of Educational Psychology 100 (1), 30</ref>
তারা এক দীর্ঘমেয়াদি, বৃহৎ পরিসরের গবেষণায় দেখেন, গণনা ও সমস্যার সমাধান—এই দুইটি গণিতের আলাদা ক্ষেত্র হতে পারে। তারা শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করেন: গণনায় দক্ষতা, শব্দ-সমস্যা সমাধান, ধ্বনি প্রক্রিয়া, অ-মৌখিক সমস্যা সমাধান, কর্মরত স্মৃতি, মনোযোগী আচরণ, প্রক্রিয়ার গতি, এবং পাঠ দক্ষতা ইত্যাদিতে। তারা দেখতে পান, মনোযোগী আচরণ ও প্রক্রিয়ার গতি গণনার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখে।
এছাড়াও, তারা লক্ষ্য করেন, কর্মরত স্মৃতি, স্বল্পমেয়াদি স্মৃতি, অ-মৌখিক সমস্যা সমাধান (যেমন দৃশ্যের মাধ্যমে প্যাটার্ন সম্পূর্ণ করা), ধারণা গঠন, এবং ভাষা দক্ষতা (যার মধ্যে পড়াও অন্তর্ভুক্ত) সমস্যা সমাধানের পূর্বাভাসদাতা। ভাষা দক্ষতার ঘাটতি সমস্যার সমাধানে দুর্বল শিক্ষার্থীদের মধ্যে পার্থক্যকারী একটি উপাদান।
==== প্রত্যেক জ্ঞানীয় গণিত ক্ষেত্রের জন্য মস্তিষ্কের প্রক্রিয়া ====
{| class="wikitable"
!গণনার জ্ঞানীয় দক্ষতা
!সমস্যা সমাধানের জ্ঞানীয় দক্ষতা
|-
|গণনার সফলতার পূর্বাভাসদাতা:
|সমস্যা সমাধানের সফলতার পূর্বাভাসদাতা:
|-
|• কর্মরত স্মৃতি
# শ্রবণক্ষম কর্মরত স্মৃতি
# দৃশ্য-স্থানিক কর্মরত স্মৃতি
• মনোযোগ রেটিং • প্রক্রিয়ার গতি • ভাষা দক্ষতা
# ধ্বনিতাত্ত্বিক প্রক্রিয়াকরণ (ধ্বনি শনাক্ত ও পার্থক্য করতে পারা)
# শব্দভাণ্ডার জ্ঞান
|• কর্মরত স্মৃতি
# শ্রবণক্ষম কর্মরত স্মৃতি
• স্বল্পমেয়াদি স্মৃতি • অ-মৌখিক সমস্যা সমাধান (দৃশ্যমান প্যাটার্ন সম্পূর্ণ করার দক্ষতা) • ধারণা গঠন • ভাষা দক্ষতা
# প্রথম ভাষা, সাংস্কৃতিক পার্থক্য
# ধ্বনি, শব্দভাণ্ডার
|}
=== গণিত শেখার ক্ষেত্রে কার্যকর স্মৃতির গুরুত্ব ===
'''কার্যকর স্মৃতি''' হলো একটি প্রক্রিয়া যা অস্থায়ীভাবে নতুন বা পূর্বে সঞ্চিত তথ্য ধারণ করে, যা বর্তমান কোনো কাজ সম্পন্ন করার জন্য ব্যবহৃত হয়। এর ধারণক্ষমতা সীমিত। কার্যকর স্মৃতির দুটি ধরণ রয়েছে: শ্রাব্য (auditory) স্মৃতি ও দৃশ্য-স্থানিক (visual-spatial) স্মৃতি। গণিতের গাণিতিক সমস্যার সমাধানের ক্ষেত্রে দৃশ্য-স্থানিক স্মৃতি গুরুত্বপূর্ণ বলে প্রমাণিত হয়েছে। অপরদিকে, শ্রাব্য স্মৃতি সব ধরনের গাণিতিক ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। ব্যক্তিভেদে কার্যকর স্মৃতির ধারণক্ষমতার পার্থক্য হতে পারে তথ্য প্রক্রিয়াকরণের গতি, ব্যক্তির জ্ঞান বা অপ্রাসঙ্গিক তথ্য উপেক্ষা করার দক্ষতার কারণে।<ref>Swanson, H. L., & Beebe-Frankenberger, M. (2004)...</ref> পরিকল্পনা, সংগঠন এবং নমনীয় চিন্তার মতো নির্বাহী কার্যক্রমগুলো কার্যকর স্মৃতিকে প্রভাবিত করতে পারে।<ref>Swanson, H. L. (2003)...</ref>
অন্যদিকে, '''স্বল্পমেয়াদী স্মৃতি''' দায়ী শুধুমাত্র অল্প সময়ের জন্য তথ্য ধারণ করার জন্য, যেগুলো ব্যবহার করতে হবে কিন্তু বিশ্লেষণ বা রূপান্তরের প্রয়োজন নেই। এর ধারণক্ষমতাও সীমিত এবং এটি কয়েক সেকেন্ডের মতোই স্থায়ী হতে পারে। যেমন, একটি টেলিফোন নম্বর আমরা কয়েক সেকেন্ড মনে রাখি শুধু তা ডায়াল করার জন্য।
২০০৪ সালে সোয়ানসন এবং বিবে-ফ্রাঙ্কেনবার্গারর একটি গবেষণায় উপসংহারে পৌঁছেছেন যে, কার্যকর স্মৃতি সমস্যার সমাধানকালে তথ্য একীভূতকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাদের মতে, কার্যকর স্মৃতি গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি "(ক) সম্প্রতি প্রক্রিয়াকৃত তথ্যকে নতুন ইনপুটের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করে এবং (খ) সামগ্রিকভাবে সমস্যার একটি উপস্থাপন গঠনের জন্য তথ্যের সারাংশ সংরক্ষণ করে।"<ref>Swanson, H. L., & Beebe-Frankenberger, M. (2004)...</ref>
এইচ লি সোয়ানসনের সাম্প্রতিক একটি গবেষণায় দেখা গেছে, কার্যকর স্মৃতির ধারণক্ষমতা সমস্যা সমাধানে কৌশলগত হস্তক্ষেপের প্রভাবকে নিয়ন্ত্রণ করে।<ref>Swanson, H. L. (August 4,2015)...</ref> লেখক একটি হস্তক্ষেপমূলক গবেষণা পরিচালনা করেন, যেখানে কার্যকর স্মৃতির ভূমিকা এবং কৌশল শেখানোর ফলে শব্দভিত্তিক সমস্যা সমাধানে সঠিকতা কেমন হয়, তা যাচাই করা হয়।
গবেষণায় সমস্ত শিশুদের শ্রাব্য ও দৃশ্য-স্থানিক কার্যকর স্মৃতির মাপ নেওয়া হয়। এরপর গণিতে সমস্যাযুক্ত এবং অপ্রতিবন্ধিত শিশুদের তিনটি গ্রুপে ভাগ করে র্যান্ডমাইজড কন্ট্রোল ট্রায়াল করা হয়। ১ম দলকে শব্দভিত্তিক কৌশল শেখানো হয়, ২য় দলকে দৃশ্য-স্থানিক কৌশল, এবং ৩য় দলকে উভয় কৌশলের সংমিশ্রণ শেখানো হয়। প্রতিটি দলকে এমন পাঠদান দেওয়া হয় যাতে শব্দ সমস্যা ক্রমাগত অপ্রাসঙ্গিক তথ্যে পরিপূর্ণ হতে থাকে। এই কৌশলের উদ্দেশ্য ছিল শিশুদের প্রাসঙ্গিক তথ্যের প্রতি মনোযোগী হতে শেখানো। পূর্ববর্তী অনেক গবেষণায় দেখা গেছে যে, প্রাসঙ্গিক ও অপ্রাসঙ্গিক তথ্য আলাদা করতে শেখা গণিত সমস্যার সঠিকতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ।
গবেষণার ফলাফল দেখায় যে, কৌশল শেখানো সমস্যা সমাধানে সাহায্য করে। তবে এটি মনে রাখা জরুরি যে, ব্যক্তিভেদে কার্যকর স্মৃতির ক্ষমতা কৌশল শেখানোর প্রভাবকে নিয়ন্ত্রণ করে। কম কার্যকর স্মৃতির শিশুরা তেমন উপকার পায়নি। বরং উচ্চ কার্যকর স্মৃতির শিশুরাই—যাঁদের গণিতে প্রতিবন্ধকতা থাকুক বা না থাকুক—এই কৌশল থেকে বেশি উপকার পেয়েছে। তবে, দৃশ্যগত কৌশল ব্যবহৃত হলে সব ধরনের গণিত প্রতিবন্ধী শিশুরাই উপকার পেয়েছে। কিন্তু যাঁদের কার্যকর স্মৃতি দুর্বল, তাঁদের জন্য শব্দ ও দৃশ্য উভয় কৌশলের সংমিশ্রণ প্রয়োজন। সবশেষে, গবেষণার ফলাফলে বলা হয়েছে যে, কার্যকর স্মৃতির উপর ভিত্তি করে মনোযোগ নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কিত প্রক্রিয়াগুলোর প্রশিক্ষণ ভবিষ্যতে কার্যকর স্মৃতির দক্ষতা উন্নত করতে পারে।
এই গবেষণার তাৎপর্য হলো, গণিতে প্রতিবন্ধকতাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের কার্যকর স্মৃতির ক্ষমতা যাচাই করে তার ভিত্তিতে উপযুক্ত শিক্ষণ কৌশল নির্ধারণ করা উচিত।
== গণিত শেখা ও শেখানোর ওপর প্রভাব ফেলা উপাদান ==
=== ব্যক্তিভেদে পার্থক্য ===
প্রত্যেক শিক্ষার্থীর আলাদা দক্ষতা, পূর্বজ্ঞান, সংস্কৃতি এবং আগ্রহ থাকে। এই বিষয়গুলো গণিত শেখা ও শেখানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ কারণ পাঠদানের কৌশলগুলো শিক্ষার্থীদের অনুযায়ী পরিবর্তন করতে হয়।
==== দক্ষতার পার্থক্য ====
সব শিক্ষার্থীর নিজস্ব শক্তি ও দুর্বলতা থাকে। কেউ কোনো নির্দিষ্ট গাণিতিক ক্ষেত্রে ভালো হলেও, অন্য ক্ষেত্রে দুর্বল হতে পারে। শিক্ষকের উচিত শিক্ষার্থীদের দক্ষতা সম্পর্কে জানা, যাতে তাদের শক্তিকে কাজে লাগিয়ে দুর্বলতাকে উন্নত করা যায়। যদি শিক্ষক শিক্ষার্থীদের দক্ষতা ও দুর্বলতা না জানেন, তবে ভুলভাবে চ্যালেঞ্জ তৈরি হতে পারে, যেটা শিক্ষার্থীর আত্মবিশ্বাস কমিয়ে দিতে পারে এবং ব্যর্থতা থেকে "শিক্ষিত অসহায়ত্ব" তৈরি করতে পারে। সঠিক দক্ষতা জানা থাকলে নতুন গাণিতিক জ্ঞান অর্জনে শিক্ষার্থীদের অসুবিধা হবে না।
উদাহরণস্বরূপ, শব্দ সমস্যা সমাধানের জন্য প্রয়োজন মানসিক উপস্থাপনা ও সাধারণ গাণিতিক রূপান্তর। ফলে, যারা গাণিতিক সমীকরণ গঠন করতে জানে না, তারা এই সমস্যা সমাধানে ব্যর্থ হবে।<ref>Wong, B., Graham, L., Hoskyn, M., & Berman, J. (Eds.). (2008)...</ref> শিক্ষকের উচিত শিক্ষার্থীদের প্রাক-দক্ষতার ওপর ভিত্তি করে পাঠদান কৌশল নির্ধারণ করা, কারণ এই দক্ষতাগুলো সমস্যার সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। শিক্ষার্থীরা যত বেশি ধারণাগত ও প্রক্রিয়াগত দক্ষতা অর্জন করবে, ততই তারা গণিত শেখায় দক্ষ হয়ে উঠবে।<ref>Bruning, R., Schraw, G., & Norby, M. (2011)...</ref>
বর্তমান হাইস্কুলে বিভিন্ন স্তরের গণিত কোর্স থাকে—শুরুর, মূল এবং উন্নত স্তর। শিক্ষার্থীদের নিজস্ব দক্ষতার ভিত্তিতে বিভাগ করা হয় বা তারা নিজেরা স্তর বেছে নিতে পারে। শিক্ষককে উচিত শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা যে তারা সেই স্তরের উপযোগী কিনা। খুব কঠিন হলে শিক্ষার্থী ক্লান্ত হয়ে পড়বে, আবার খুব সহজ হলে বিরক্ত হবে। সঠিক স্তর নির্ধারণের জন্য দক্ষতা জানা আবশ্যক।
==== পূর্বজ্ঞানগত পার্থক্য ====
শিক্ষার্থীদের গাণিতিক জ্ঞান তাদের সামাজিক অভিজ্ঞতা থেকে আসে। বাস্তব জীবনের অভিজ্ঞতা যেমন বাজারে কেনাকাটা করার মাধ্যমে টাকা-পয়সা মেলানো শেখা, গাণিতিক প্রতীক কীভাবে ব্যবহার হয়, সেটা বুঝতে সাহায্য করে। এই বাস্তব জ্ঞান ব্যবহার করে যদি গাণিতিক ধারণা শেখানো হয়, তাহলে শিক্ষার্থীরা সহজে তা বুঝতে পারে।<ref>Wong, B., Graham, L., Hoskyn, M., & Berman, J. (Eds.). (2008)...</ref> বাস্তব পরিস্থিতির সঙ্গে মিল থাকলে শিক্ষার্থীরা গণিত শেখায় বেশি আগ্রহী হয়, কারণ এটি তাদের কাছে অর্থবহ ও প্রাসঙ্গিক মনে হয়। উদাহরণস্বরূপ, পাঠ্যবইয়ের গণিত অনেক শিক্ষার্থীর কাছে বিরক্তিকর মনে হতে পারে, কিন্তু যদি তা ব্যাংকে সুদের হিসাব বা দৈনন্দিন খরচ হিসাবের মতো জীবনের সঙ্গে মেলানো হয়, তাহলে তা সহজ ও আকর্ষণীয় মনে হয়।
গুরুত্বপূর্ণ গণিত সমস্যার জন্য শুধু গণিত নয়, পদার্থবিদ্যা বা রসায়নের মতো বিষয়ের জ্ঞানও প্রয়োজন হতে পারে।<ref>Bruning, R., Schraw, G., & Norby, M. (2011)...</ref> শব্দ সমস্যার ক্ষেত্রে পাঠ্যাংশ বুঝতে ভাষাগত দক্ষতাও প্রয়োজন, যা পূর্বজ্ঞান থেকে আসে। বিশ্ববিদ্যালয় স্তরের অনেক গণিত কোর্সে পূর্বশর্ত কোর্স থাকে, কারণ উন্নত গণিত শেখার জন্য প্রাথমিক ধারণা থাকা আবশ্যক।
==== আগ্রহের পার্থক্য ====
সবার আগ্রহ আলাদা। কেউ গণিত পছন্দ করে কারণ ছোটবেলা থেকেই তারা এই বিষয়ে শক্তিশালী ছিল, আবার কেউ ঘৃণা করে কারণ বারবার ব্যর্থ হয়েছে। আগ্রহ থাকলে অভ্যন্তরীণ মোটিভেশন তৈরি হয় এবং শিক্ষার্থী নিজের ইচ্ছায় গণিত শেখে।<ref>Bruning, R., Schraw, G., & Norby, M. (2011)...</ref> এতে শিক্ষার্থীরা কাজের প্রতি মনোযোগী হয় এবং সমাধানে আন্তরিকতা দেখায়। তাদের আগ্রহ নিজের সামর্থ্য, আত্মবিশ্বাস এবং অর্জনের সঙ্গে জড়িত।<ref>Upadyaya, K., & Jacquelynne, S. E. (2014). How do Teachers’ Beliefs predict Children’s Interests in Math from Kindergarten to Sixth Grade? ''Merrill-Palmer Quarterly, 60''(4). Retrieved from http://web.b.ebscohost.com.proxy.lib.sfu.ca/ehost/pdfviewer/pdfviewer?sid=aaa92fa2-22f8-4cd7-9d94-49896f602e89%40sessionmgr120&vid=0&hid=109</ref>
তাই, শিক্ষার্থীদের একাডেমিক সাফল্য বাড়ানোর জন্য তাদের মধ্যে গণিতের প্রতি আগ্রহ তৈরি করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রকৃতপক্ষে, পরিবারের সদস্য, সহপাঠী এবং শিক্ষকসহ অনেক উপায়ে গণিতের প্রতি আগ্রহ বাড়ানো যায়।<ref>Frenzel, A.C., Goets T., Pekrun R., & Watt, H.M.G. (2010). Development of Mathematics Interest in Adolescence: Influences of Gender, Family and School Context. ''Journal of Research on Adolescence, 20''(2), 507-537. doi:10.1111/j.1532-7795.2010.00645.x</ref>
পরিবারের সদস্যরা ঘরে বসেই শিক্ষার্থীদের গণিতে সহায়তা ও উৎসাহ দিতে পারেন, যা গণিতের প্রতি তাদের মূল্যবোধ বাড়ায়। শিক্ষার্থীরা সাধারণত সামাজিক তুলনা করতে ভালোবাসে এবং তারা সহপাঠীদের অনুসরণ করতে চায়। তাই সহপাঠীদের প্রভাব শিক্ষার্থীদের ওপর বড় ভূমিকা রাখে। যখন শিক্ষার্থীরা দেখে তাদের সহপাঠীরা সুদোকু বা ধাঁধার মতো কোনো গণিতের সমস্যা উপভোগ করছে, তখন তারাও সমাধানে আগ্রহী হয়ে ওঠে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণভাবে, শিক্ষকরা শ্রেণিকক্ষে আনন্দদায়ক ও ইন্টারঅ্যাকটিভ গেমের আয়োজন করতে পারেন এবং শেখানোর সময় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে পারেন।<ref>Frenzel, A.C., Goets T., Pekrun R., & Watt, H.M.G. (2010). Development of Mathematics Interest in Adolescence: Influences of Gender, Family and School Context. ''Journal of Research on Adolescence, 20''(2), 507-537. doi:10.1111/j.1532-7795.2010.00645.x</ref> এটি এমন একটি বিষয় শেখার আগ্রহ তৈরি করবে, যা আগে শিক্ষার্থীরা উপভোগ করতো না। ফলে, শিক্ষকদের উচিত শিক্ষার্থীদের শেখার জন্য আনন্দদায়ক পরিবেশ তৈরি করা যাতে গণিতের প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধি পায়। যদি শিক্ষার্থীরা গণিতকে ঘৃণা করে, তবে তাদের শেখানো অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়ে। তারা তখন কেবল বাধ্য হয়ে পড়ে, আগ্রহ নিয়ে নয়।
==== সাংস্কৃতিক পার্থক্য ====
বিভিন্ন সাংস্কৃতিক পটভূমি থেকে আসা শিক্ষার্থীদের একাডেমিক সাফল্যের স্তর ও লক্ষ্য ভিন্ন হয়ে থাকে।<ref>Tsao, Y-L. (2004). A Comparison of American and Taiwanese Students: Their Math Perception. ''Journal of Instructional Psychology, 31''(3). Retrieved from http://web.b.ebscohost.com.proxy.lib.sfu.ca/ehost/pdfviewer/pdfviewer?sid=97c91599-4222-4cc8-8717-703e6b774b06%40sessionmgr110&vid=19&hid=109</ref> তদুপরি, তাদের সংস্কৃতির ওপর ভিত্তি করে গণিতের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি ভিন্ন হতে পারে। যখন কোনো সংস্কৃতি কোনো বিষয়ে যেমন গণিতে বিশেষ গুরুত্ব দেয়, তখন সেই সংস্কৃতির শিশুদের ছোটবেলা থেকেই স্কুল ও বাড়িতে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। ফলে, এদের গণিতের দক্ষতা তুলনামূলকভাবে বেশি হয়। যারা নিয়মিত গণিত চর্চা করে, তাদের অটোমেটিসিটি (স্বয়ংক্রিয়ভাবে সমাধান করার ক্ষমতা) বেশি হয় কারণ তারা বিভিন্ন গণিত সমস্যার যথেষ্ট অনুশীলন করে। তারা উপযুক্ত কৌশল বেছে নিয়ে দ্রুত সমস্যার সমাধান করতে পারে।<ref>Imbo, I., & LeFevre, Jo-Anne. (2009). Cultural differences in Complex Addition: Efficient Chinese versus Adaptive Belgians and Canadians. ''Journal of Experimental Psychology: Learning, Memory, and Cognition, 35''(6),1465-1476. doi:10.1037/a0017022</ref> অন্যদিকে, যদি কোনো সংস্কৃতি গণিতকে গুরুত্ব না দেয়, তবে সেই সংস্কৃতির শিশুরা কঠোরভাবে শেখে না এবং তাদের দক্ষতার স্তরও কম হয়। কোনও বিষয়ে ভালো করতে হলে স্কুলের পাশাপাশি বাড়িতেও চর্চা করা প্রয়োজন। যারা শুধুমাত্র স্কুলেই গণিত শেখে এবং বাড়িতে সক্রিয়ভাবে চর্চা করে না, তাদের অনুশীলন পর্যাপ্ত নয়। সেইসঙ্গে, এমন সংস্কৃতি যেখানে উচ্চ মান, পরিশ্রম, এবং ইতিবাচক মনোভাবকে মূল্য দেওয়া হয়, সেগুলোর শিক্ষার্থীদের একাডেমিক সাফল্যের সম্ভাবনা বেশি থাকে।<ref>Imbo, I., & LeFevre, Jo-Anne. (2009). Cultural differences in Complex Addition: Efficient Chinese versus Adaptive Belgians and Canadians. ''Journal of Experimental Psychology: Learning, Memory, and Cognition, 35''(6),1465-1476. doi:10.1037/a0017022</ref>
বিভিন্ন সংস্কৃতির ভাষাও ভিন্ন। এর অর্থ, তারা গণিত সমস্যা প্রকাশের ধরনেও পার্থক্য থাকতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে, চীনা সংখ্যার ভাষাগত কাঠামো (যেমন ১৫ মানে "দশ-পাঁচ") ইংরেজির তুলনায় শেখা সহজ। ইংরেজিতে যেমন 12 মানে "twelve" এবং -teen শব্দগুলোর মধ্যে ধারাবাহিকতা থাকে না।<ref>Imbo, I., & LeFevre, Jo-Anne. (2009). Cultural differences in Complex Addition: Efficient Chinese versus Adaptive Belgians and Canadians. ''Journal of Experimental Psychology: Learning, Memory, and Cognition, 35''(6),1465-1476. doi:10.1037/a0017022</ref> চীনা সংখ্যা উচ্চারণ করা ইংরেজির তুলনায় দ্রুত হয়, যা শিক্ষার্থীদের গণিত দক্ষতাকে প্রভাবিত করে। ফলে, চীনা ভাষায় সংখ্যাগুলো স্বল্প-মেয়াদী স্মৃতিতে দীর্ঘ সময় ধরে রাখা যায়, বিশেষ করে বহু-অঙ্কের জটিল সমস্যায়।<ref>Imbo, I., & LeFevre, Jo-Anne. (2009). Cultural differences in Complex Addition: Efficient Chinese versus Adaptive Belgians and Canadians. ''Journal of Experimental Psychology: Learning, Memory, and Cognition, 35''(6),1465-1476. doi:10.1037/a0017022</ref> তাই পাঠদানের কৌশল পরিকল্পনার সময় শিক্ষার্থীদের সাংস্কৃতিক পার্থক্য বিবেচনায় নেওয়া উচিত, কারণ তা গণিত সমস্যার প্রতি তাদের দৃষ্টিভঙ্গি প্রভাবিত করতে পারে।
=== গণিতে আত্ম-দক্ষতা ===
গণিতে শিক্ষার্থীদের আত্ম-দক্ষতা বলতে বোঝায় তারা নিজের সম্পর্কে কতটা বিশ্বাস রাখে যে তারা গণিতের প্রশ্ন সমাধান করতে পারবে। যারা বেশি আত্মবিশ্বাসী তারা গণিত সংশ্লিষ্ট কাজে আরও সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে এবং তাদের একাডেমিক সাফল্যও বেশি হয়। অন্যদিকে, যারা আত্মবিশ্বাস কম রাখে তারা গণিত সমস্যা সমাধানে বেশি দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয় এবং তাদের পারফরম্যান্স কম হয়। তাই, গণিতে আত্ম-দক্ষতা সরাসরি শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ ও সাফল্যের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত।
==== গণিতে আত্ম-দক্ষতার প্রভাব ====
আত্ম-দক্ষতা শিক্ষার্থীদের চিন্তা, বোঝাপড়া এবং শেখার অনুভূতিতে প্রভাব ফেলে। যারা নিজেদের দক্ষ মনে করে, তারা গণিতে ভালো করার ক্ষমতা আছে বলে বিশ্বাস করে।<ref>Schunk, D. H., & Zimmerman, B.J. (2006). Competence and control beliefs: Distinguishing the means and ends. In P.A. Alexander & P.H. Winne (Eds.), Handbook of educational psychology (2nd ed., pp.349-367). Yahweh, NJ: Erlbaum.</ref> এই বিশ্বাসের কারণে তারা আরও উৎসাহী হয়ে পড়ে এবং বেশি পড়াশোনা করে। ফলে, তারা আত্ম-সার্থকতার চক্রে পড়ে, অর্থাৎ তাদের নিজস্ব বিশ্বাস বাস্তব হয়ে ওঠে। বিপরীতে, যারা নিজেকে অদক্ষ মনে করে, তারা ভাবে যতই চেষ্টা করুক, গণিতে সফল হতে পারবে না।<ref>Schunk, D. H., & Zimmerman, B.J. (2006). Competence and control beliefs: Distinguishing the means and ends. In P.A. Alexander & P.H. Winne (Eds.), Handbook of educational psychology (2nd ed., pp.349-367). Yahweh, NJ: Erlbaum.</ref> এ কারণে তারা গণিত চর্চায় অনুপ্রাণিত হয় না এবং কয়েকবার চেষ্টা করেই হাল ছেড়ে দেয়। এতে তাদের "আমি পারি না" বিশ্বাস আরও দৃঢ় হয় এবং সেই অনুযায়ী তারা কাজ করতে থাকে।
==== শিক্ষার্থীদের আত্ম-দক্ষতা মূল্যায়ন ====
শিক্ষার্থীরা গণিতের কোন বিষয় শিখতে আত্মবিশ্বাসী কিনা তা মূল্যায়ন করা জরুরি, কারণ এটি তাদের পারফরম্যান্সকে প্রভাবিত করতে পারে। আত্ম-দক্ষতা মূল্যায়নের একটি উপায় হলো, প্রথম পুরুষে কিছু বিবৃতি তৈরি করা এবং শিক্ষার্থীদেরকে প্রত্যেকটি বিবৃতির জন্য ০ থেকে ১০০ স্কেলে রেট করতে বলা।<ref>Bandura, A. (1997). Self-efficacy: The exercise of control.New York, NY:Freeman.</ref> প্রথমে শিক্ষককে নির্দিষ্ট একটি টপিক বেছে নিতে হবে, যেমন "পৃষ্ঠতলের ক্ষেত্রফল নির্ধারণ"। এরপর সেই বিষয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য বিবৃতিগুলো তৈরি করতে হবে এবং শিক্ষার্থীরা সেগুলোর সত্যতা রেট করবে।
{| class="wikitable"
!রেট (০-১০০)
!বিবৃতি
|-
|৮০
|আমি জানি, প্যারালেলোগ্রামের পৃষ্ঠতলের ক্ষেত্রফল নির্ধারণে কী তথ্য লাগবে।
|-
|১০০
|আমি দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ দেওয়া থাকলে একটি আয়তক্ষেত্রের পৃষ্ঠতলের ক্ষেত্রফল নির্ধারণ করতে পারি।
|-
|৬০
|আমি ট্র্যাপেজিয়ামের ক্ষেত্রফলের সমীকরণ লিখতে পারি।
|-
|৫০
|আমি আমার সহপাঠীকে বোঝাতে পারি কেন ত্রিভুজের ক্ষেত্রফল bxh ÷2 অর্থাৎ, (ভূমি x উচ্চতা) / ২
|-
|৯০
|আমি ৪ সেন্টিমিটার দৈর্ঘ্যের একটি বর্গক্ষেত্রের ক্ষেত্রফল নির্ধারণ করতে পারি।
|}
এই স্কোরগুলো যোগ করে শিক্ষকেরা শিক্ষার্থীর আত্ম-দক্ষতার একটি সামগ্রিক চিত্র পেতে পারেন। উপরিউক্ত উদাহরণে, মোট স্কোর হবে ৮০+১০০+৬০+৫০+৯০। শিক্ষক চাইলে এই আত্ম-দক্ষতার তুলনা শিক্ষার্থীর গণিত বিষয়ে সামগ্রিক আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে করতে পারেন। আত্ম-দক্ষতা শিক্ষার্থীদের শেখার অনুপ্রেরণা ও আচরণকে প্রভাবিত করতে পারে, তাই শিক্ষকদের উচিত সেই অনুযায়ী পাঠ পরিকল্পনা তৈরি করা।
==== শিক্ষার্থীদের আত্ম-দক্ষতার বিকাশ ====
বান্দুরা আত্ম-দক্ষতা বিকাশে চারটি প্রধান উৎস চিহ্নিত করেছেন।<ref>Bandura, A. (1986). Social foundations of thought and action: A social cognitive theory. Englewood Cliffs, NJ, US: Prentice-Hall, Inc.</ref> প্রথমটি হলো শিক্ষার্থীদের সাফল্যের অভিজ্ঞতা।<ref>Bandura, A. (1986). Social foundations of thought and action: A social cognitive theory. Englewood Cliffs, NJ, US: Prentice-Hall, Inc.</ref> যেমন, যদি শিক্ষার্থী কোনো গণিত পরীক্ষায় ভালো ফল করে, তার সেই বিষয়ে আত্মবিশ্বাস বাড়ে। দ্বিতীয়টি হলো বিভিন্ন অভিজ্ঞতা।<ref>Bandura, A. (1986). Social foundations of thought and action: A social cognitive theory. Englewood Cliffs, NJ, US: Prentice-Hall, Inc.</ref> শিক্ষার্থীরা যখন তাদের সমমানের সহপাঠীদের কাজ করতে দেখে, তখন তারা নিজেরও পারবে বলে বিশ্বাস করতে শুরু করে। এমনকি গণিতবিদদের নিয়ে তৈরি ডকুমেন্টারি দেখা পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের আত্ম-দক্ষতা বাড়াতে পারে।<ref>Hekimoglu, S., & Kittrell, E. (2010). Challenging students' beliefs about mathematics: The use of documentary to alter perceptions of efficacy. PRIMUS: Problems, Resources, And Issues In Mathematics Undergraduate Studies, 20(4), 299-331. doi:10.1080/10511970802293956</ref>
তৃতীয় প্রভাবটি হলো সামাজিক প্রভাব।<ref>Bandura, A. (1986). Social foundations of thought and action: A social cognitive theory. Englewood Cliffs, NJ, US: Prentice-Hall, Inc.</ref> এটি শিক্ষার্থীদের ঘনিষ্ঠ মানুষদের (যেমন অভিভাবক, সহপাঠী বা শিক্ষক) কাছ থেকে আসা ইতিবাচক বক্তব্য হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, শিক্ষক যদি বলেন “তুমি বীজগণিতের সমস্যাগুলো এখন আগের থেকে ভালোভাবে সমাধান করতে পারছো,” তাহলে এটি শিক্ষার্থীদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে তোলে।
চতুর্থ প্রভাবটি হলো শিক্ষার্থীদের মানসিক অবস্থা।<ref>Bandura, A. (1986). Social foundations of thought and action: A social cognitive theory. Englewood Cliffs, NJ, US: Prentice-Hall, Inc.</ref> এটি শিক্ষার্থীদের কোনো পরিস্থিতির প্রতি আবেগগত প্রতিক্রিয়াকে বোঝায়। উদাহরণস্বরূপ, একজন শিক্ষার্থী মনে করতে পারে যে গণিত পরীক্ষায় ব্যর্থ হওয়ার কারণ তার অযোগ্যতা, অথচ প্রকৃতপক্ষে সেটা ছিল উদ্বেগের ফল। এই ক্ষেত্রে, শিক্ষার্থী তার ক্ষমতা ভুলভাবে মূল্যায়ন করে এবং গণিত বিষয়ে আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলে। আবার কোনো শিক্ষার্থী পরীক্ষায় ভালো করলেও সেটিকে নিজের দক্ষতা নয়, বরং ভাগ্যের কারণে হয়েছে বলে মনে করতে পারে। এর ফলে, সে আত্মবিশ্বাস গঠনের একটি সুযোগ হারিয়ে ফেলে। সুতরাং, ইতিবাচক বা নেতিবাচক যেকোনো অভিজ্ঞতার প্রতি শিক্ষার্থীর দৃষ্টিভঙ্গি তার আত্মদক্ষতা গঠনে প্রভাব ফেলে। এই ক্ষেত্রে আত্মদক্ষতা বাড়ানোর উপায় হলো শিক্ষার্থীদের তাদের প্রকৃত দক্ষতা চেনাতে সহায়তা করা এবং তাদের দক্ষতার প্রতি ইতিবাচক অনুভূতি তৈরি করা।
উশের একটি গবেষণা পরিচালনা করেছেন, যেখানে তিনি শিক্ষার্থী, অভিভাবক এবং শিক্ষকদের সাক্ষাৎকার নিয়ে মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের গণিত বিষয়ক আত্মদক্ষতার চারটি উৎস যাচাই করেন।<ref>Usher, E. L. (2009). Sources of middle school students’ self-efficacy in mathematics: A qualitative investigation. American Educational Research Journal, 46(1), 275-314. doi:10.3102/0002831208324517</ref> এই গবেষণার ফলাফল বান্দুরার ধারণার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ, যেখানে দক্ষতার অভিজ্ঞতা, পরোক্ষ অভিজ্ঞতা, সামাজিক প্রভাব ও মানসিক অবস্থা – সবই শিক্ষার্থীদের আত্মবিশ্বাস গঠনের সঙ্গে যুক্ত।
দক্ষতার অভিজ্ঞতা শিক্ষার্থীদের আত্মদক্ষতা বিকাশের সাথে দৃঢ়ভাবে সম্পর্কযুক্ত। উশের একটি কৌশল প্রস্তাব করেন যেটি গণিত শিক্ষকরা ব্যবহার করতে পারেন শিক্ষার্থীদের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে—“শিক্ষাদান এমনভাবে করা যাতে শিক্ষার্থীদের দক্ষতার অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ সর্বাধিক হয়, তা যত ছোটই হোক না কেন।”<ref>Usher, E. L. (2009). ...</ref> উদাহরণস্বরূপ, শিক্ষক অ্যালগরিদম বা বীজগণিত শেখানোর সময় সঠিকতা যাচাই করার কৌশল শেখাতে পারেন। যেমন প্রশ্ন: ১৮ ÷ ৬ =? শিক্ষক শিখাতে পারেন যে ভাগফলকে গুণ করে যদি ভাগফল × ভাজক = মূল সংখ্যা হয় (৩ × ৬ = ১৮), তবে উত্তর সঠিক। যারা এই কৌশল শিখেছে ও ব্যবহার করেছে, তারা গণিতে দক্ষতার অভিজ্ঞতা বাড়িয়েছে।<ref>Ramdass, D., & Zimmerman, B. J. (2008). ...</ref> শিক্ষার্থীদের সক্ষমতার মধ্যে থেকে চ্যালেঞ্জিং কাজ দেওয়া তাদের দক্ষতা বাড়াতে সাহায্য করে।
উশেরের গবেষণায় আরও দেখা গেছে, এই চারটি উৎসের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্কও রয়েছে। পরোক্ষ অভিজ্ঞতার ক্ষেত্রে দেখা গেছে, শিক্ষার্থীদের আত্মবিশ্বাসে অভিভাবক ও শিক্ষকের গণিত অভিজ্ঞতার প্রভাব আছে। একটি গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ হলো, এক শিক্ষার্থী তার অভিভাবকদের গণিতে ব্যর্থতাকে এভাবে ব্যাখ্যা করেছে—“আমি আলাদা হতে পারি।”<ref>Usher, E. L. (2009). ...</ref> এটি বোঝায় যে কেবল সফলতাই নয়, ব্যর্থতাও শিক্ষার্থীদের আত্মবিশ্বাসে প্রভাব ফেলতে পারে। এছাড়া, শিক্ষার্থীর মানসিক অবস্থা অন্যদের অভিজ্ঞতা কীভাবে তারা ব্যাখ্যা করে, তাতেও প্রভাব ফেলে। সামাজিক প্রভাবের ক্ষেত্রে দেখা গেছে, অভিভাবক ও শিক্ষকের বার্তা শিক্ষার্থীদের সক্ষমতা বিশ্বাসে বড় প্রভাব ফেলতে পারে। যেমন, যদি বাবা-মা বলেন গণিত একটি জন্মগত ক্ষমতা—“তোমার আছে বা নেই”—তাহলে সন্তানরা নিজেকে অক্ষম মনে করে আত্মবিশ্বাস হারাতে পারে। এই ক্ষেত্রে সামাজিক প্রভাব মানসিক অবস্থাতেও প্রভাব ফেলে।
==== শিক্ষকের আত্মদক্ষতা ====
শিক্ষকের শিক্ষাদানের আত্মদক্ষতা বলতে বোঝায় যে, তারা বিশ্বাস করেন তারা শিক্ষার্থীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনতে পারেন,<ref>Woolfolk, A. E., & Hoy, W. K. (1990). ...</ref> যেমন একাডেমিক পারফরম্যান্স, আত্মদক্ষতা, অনুপ্রেরণা, মনোভাব এবং আগ্রহ। উচ্চ আত্মদক্ষতা গঠনের জন্য শিক্ষকদের প্রয়োজন ইতিবাচক মনোভাব, বিষয়বস্তুর প্রতি গভীর জ্ঞান এবং শিক্ষণ কৌশলের জ্ঞান।
গণিত বিষয়ে শিক্ষকের মনোভাব শিক্ষার্থীদের মনোভাব ও পারফরম্যান্সে বড় প্রভাব ফেলে। একটি গবেষণায় চারটি গ্রুপ—প্রাথমিক শিক্ষক (K-4), মাধ্যমিক শিক্ষক, অন্যান্য প্রশাসনিক কর্মকর্তা, এবং বিশেষ শিক্ষা শিক্ষক—এর মধ্যে সাক্ষাৎকার ও একটি মনোভাব স্কেল পূরণের মাধ্যমে শিক্ষকদের মনোভাব বিশ্লেষণ করা হয়েছে।<ref>Kolstad, R. K., Hughes, S., & Briggs, L. D. (1994). ...</ref> এতে দেখা যায়, মাধ্যমিক শিক্ষকরা সবচেয়ে ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করেন (৬০% অত্যন্ত ইতিবাচক, ৩০% নিরপেক্ষ, ১০% অত্যন্ত নেতিবাচক), এবং প্রাথমিক শিক্ষকরা সবচেয়ে নেতিবাচক মনোভাব পোষণ করেন (৪৩% ইতিবাচক, ২৩% নিরপেক্ষ, ৩৪% নেতিবাচক)। ফলাফল নির্দেশ করে প্রাথমিক স্তরে গণিতকে তেমন গুরুত্ব দেওয়া হয় না।
নেতিবাচক মনোভাব থাকলে শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের শেখাতে সক্ষম—এই বিশ্বাসটিও হারিয়ে ফেলেন, যার সঙ্গে আত্মদক্ষতা জড়িত। শিক্ষকের শিক্ষাদান কৌশল ও বিষয়বস্তুর জ্ঞানও তাদের আত্মদক্ষতার ওপর প্রভাব ফেলে। একটি সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, গণিত বিষয়ক শিক্ষকের জ্ঞান ও আত্মদক্ষতার মধ্যে শক্তিশালী সম্পর্ক রয়েছে, যা দেখায়—যাদের বিষয়বস্তু ও কৌশলগত জ্ঞান বেশি, তারা শিক্ষাদানে বেশি আত্মবিশ্বাসী এবং শিক্ষার্থীদের শেখাতে পারার বিশ্বাস রাখেন।<ref>Fox, A. M. (2015). ...</ref>
শিক্ষকের আত্মদক্ষতা বিভিন্নভাবে শিক্ষার্থীদের শেখায় প্রভাব ফেলে। এর মধ্যে অন্যতম হলো শিক্ষার্থীর একাডেমিক সাফল্য। একটি গবেষণায় দেখা গেছে, K-12 স্তরের শিক্ষকদের আত্মদক্ষতা শিক্ষার্থীদের সাফল্যের সঙ্গে ইতিবাচকভাবে সম্পর্কযুক্ত।<ref>Chears-Young, J. B. (2015). ...</ref> এছাড়া, এটি শিক্ষার্থীদের অনুপ্রেরণা, আগ্রহ এবং শেখার কৌশলেও প্রভাব ফেলে। আত্মদক্ষ শিক্ষকরা প্রশংসা ব্যবহার করেন, সমালোচনার বদলে, এবং অধিক গ্রহণযোগ্য ও লক্ষ্যভিত্তিক হন।<ref>Kagan, D.M. (1992). ...</ref> অন্য একটি গবেষণায় দেখা গেছে, উচ্চ আত্মদক্ষতাসম্পন্ন শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের শেখার কৌশল শেখান এবং বেশি একাডেমিক সময় দেন, যা পারফরম্যান্স বাড়ায়।<ref>Ghaith, G., & Yaghi, H. (1997). ...</ref>
=== স্ব-নিয়ন্ত্রিত শেখা ===
অনেকে মনে করেন, শিক্ষার্থীদের গণিতে খারাপ ফলাফল তাদের অযোগ্যতা বা পড়াশোনার ঘাটতির কারণে হয়। কিন্তু সব ক্ষেত্রে তা সঠিক নয়। অনেক সময় খারাপ ফলাফল হয় কারণ শিক্ষার্থীরা উপযুক্ত কৌশল ব্যবহার করতে জানে না বা '''স্ব-নিয়ন্ত্রিত শেখা'''র অভাব রয়েছে।
স্ব-নিয়ন্ত্রিত শেখা হলো, শিক্ষার্থীরা তাদের শেখার সমস্ত দিক নিজেরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে—পরিকল্পনা থেকে শুরু করে পরবর্তী মূল্যায়ন পর্যন্ত।<ref>Zimmerman, B. (2000). ...</ref> এই শেখার তিনটি মূল উপাদান আছে।
প্রথমটি হলো, মেটাকগনিটিভ সচেতনতা—মানে কীভাবে শিক্ষার্থীরা লক্ষ্য স্থির করে এবং তা অর্জনের পরিকল্পনা তৈরি করে।<ref>Zimmerman, B. (2000). ...</ref>
দ্বিতীয়টি হলো, কৌশল ব্যবহার—অর্থাৎ শিক্ষার্থীরা কী কী স্ব-নিয়ন্ত্রিত কৌশল প্রয়োগ করতে পারে। দক্ষ শিক্ষার্থীরা বেশি কার্যকর কৌশল ব্যবহার করে।<ref>Zimmerman, B. J., & Martinez-Pons, M. (1990). ...</ref>
তৃতীয়টি হলো, অনুপ্রেরণা নিয়ন্ত্রণ—যেখানে শিক্ষার্থীরা লক্ষ্য স্থির করে এবং তাদের দক্ষতা ও পারফরম্যান্সে ইতিবাচক বিশ্বাস রাখে।<ref>Zimmerman, B. (2000). ...</ref>
স্ব-নিয়ন্ত্রিত শেখার দক্ষতা শিক্ষার্থীর গণিত সাফল্যে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলে। এই দক্ষতা বাড়লে, তারা ভালো কৌশল ব্যবহার করে এবং কীভাবে গণিত পড়তে হয় তা ভালোভাবে বোঝে, ফলে তাদের গণিতের ফলাফল উন্নত হয়।
==== গণিতে আত্মনিয়ন্ত্রিত শেখার প্রোগ্রাম নিয়ে একটি গবেষণা ====
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় পরিচালিত একটি গবেষণায় একটি গণিতভিত্তিক আত্মনিয়ন্ত্রিত শেখার প্রোগ্রাম গঠিত হয় এবং ফলাফল থেকে দেখা গেছে, যখন শিক্ষার্থীদের আত্মনিয়ন্ত্রিত শেখার দক্ষতা শেখানো হয়, তখন তাদের গণিতে অর্জনক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। এই গবেষণায় প্রাথমিক স্তরের গণিতে কম ফলাফলপ্রাপ্ত ৬০ জন শিক্ষার্থীকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এর মধ্যে ৩০ জনকে পরীক্ষামূলক দলে রাখা হয়, যারা এই গণিতভিত্তিক আত্মনিয়ন্ত্রিত শেখার প্রোগ্রামে অংশ নেয়।
এই প্রোগ্রামটি ৩০টি সেশনে বিভক্ত, যার লক্ষ্য শিক্ষার্থীদের আত্মনিয়ন্ত্রিত শেখার দক্ষতা বাড়ানো, তাদের মোটিভেশন নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা উন্নত করা এবং আত্মনিয়ন্ত্রণ কৌশল শেখানো। (সেশন ১-৫) প্রোগ্রামটি শুরু হয় শিক্ষার্থীদের আত্মনিয়ন্ত্রণ বিশ্বাস ব্যবস্থা গঠনের মাধ্যমে। এতে শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত দায়িত্ববোধ, আত্ম-দক্ষতা, শেখার লক্ষ্য এবং প্রচেষ্টার ভিত্তিতে কৃতিত্ব বোঝানোর মূল্য শেখানো হয় গল্প বলার মাধ্যমে এবং দলগত আলোচনায় অংশগ্রহণ করিয়ে।<ref>Camahalan, F. G. (2006). Effects of Self-Regulated Learning on Mathematics Achievement of Selected Southeast Asian Children. Journal Of Instructional Psychology, 33(3), 194-205.</ref> (সেশন ৬-১১) এরপর তাদের সামনে জিমারম্যানের প্রস্তাবিত ১৪টি আত্মনিয়ন্ত্রিত শেখার কৌশল উপস্থাপন করা হয়।<ref>Zimmerman, B. (2000). Attaining self-regulation: A social cognitive perspective. In M. Boekaerts, P. R. Pintrich, & M. Zeidner (Eds.), Handbook of self-regulation (pp.13-39). San Diego, CA: Academic Press.</ref> প্রতিটি কৌশলের ব্যবহার এবং গণিতে এর গুরুত্ব ব্যাখ্যা করা হয় এবং শিক্ষার্থীদের নিজে নিজে কৌশলগুলো চর্চা করার সুযোগ দেওয়া হয়। (সেশন ১২-৩০) শেষে, শিক্ষার্থীদের নিয়মিত গণিত পাঠে আত্মনিয়ন্ত্রিত শেখার কৌশল প্রয়োগে দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়। পাশাপাশি, শিক্ষার্থীদের নিজেদের অগ্রগতি মূল্যায়ন করতে হয় লক্ষ্য নির্ধারণ, আত্মমূল্যায়ন এবং আত্ম-প্রতিক্রিয়া ফর্ম পূরণের মাধ্যমে। প্রোগ্রামের ৩০টি সেশন শেষ করার পর শিক্ষার্থীদের একটি গণিত পরীক্ষার পাশাপাশি আত্মনিয়ন্ত্রিত শেখার দক্ষতা যাচাইয়ের পরীক্ষা নেওয়া হয়। ফলাফল থেকে দেখা যায়, যারা প্রোগ্রামে অংশ নেয় তারা উভয় পরীক্ষাতেই উল্লেখযোগ্যভাবে ভালো ফলাফল করে যাদের অংশগ্রহণ ছিল না তাদের তুলনায়।
===== গণিতে আত্মনিয়ন্ত্রিত শেখার কৌশল প্রয়োগ =====
{| class="wikitable"
!কৌশলসমূহ
!গণিতে প্রয়োগ
|-
|আত্ম-মূল্যায়ন
|সঠিক পদ্ধতিতে প্রশ্নের যথার্থ উত্তর মিলিয়ে দেখা।
|-
|সংগঠন ও রূপান্তর
|প্রশ্নকে গুছিয়ে নেয়া, যেমন গ্রাফ, সমীকরণ, চিত্র ব্যবহার করা।
|-
|লক্ষ্য নির্ধারণ ও পরিকল্পনা
|লক্ষ্য নির্ধারণ এবং তা অর্জনের পরিকল্পনা।
|-
|নোট নেয়া ও নজরদারি
|ক্লাসে নোট নেয়া এবং সমীকরণ গুছিয়ে রাখা।
|-
|পরিবেশ গঠন
|উপযুক্ত পরিবেশে অধ্যয়ন করা।
|-
|আত্ম-প্রতিক্রিয়া
|নিজের সাফল্য বা ব্যর্থতার জন্য নিজেই পুরস্কার বা শাস্তি নির্ধারণ।
|-
|অনুশীলন ও মুখস্থকরণ
|বিভিন্ন ধরনের গণিত সমস্যা সমাধানের মাধ্যমে শেখা।
|-
|তথ্য অনুসন্ধান
|অ-সামাজিক উৎস থেকে তথ্য সংগ্রহ।
|-
|সামাজিক সহায়তা চাওয়া
|বন্ধু, শিক্ষক বা অন্য প্রাপ্তবয়স্কদের সাহায্য চাওয়া।
|-
|পুনরায় রিভিউ করা
|পাঠ্যবই, নোট বা হোমওয়ার্ক পুনরায় পড়া।
|}
৩০টি সেশনে অংশ নেওয়ার পর শিক্ষার্থীদের গণিত অর্জন এবং আত্মনিয়ন্ত্রিত শেখার দক্ষতায় লক্ষণীয় উন্নতি দেখা গেছে।<ref>Camahalan, F. G. (2006). Effects of Self-Regulated Learning on Mathematics Achievement of Selected Southeast Asian Children. Journal Of Instructional Psychology, 33(3), 194-205.</ref> এটি প্রমাণ করে যে, কম অর্জনক্ষম শিক্ষার্থীদের আত্মনিয়ন্ত্রিত শেখার কৌশল শেখানো সম্ভব এবং কার্যকর। যখন তারা এই দক্ষতা অর্জন করে এবং প্রক্রিয়াভিত্তিক চিন্তায় মনোযোগ দেয়, তখন তাদের সমস্যা সমাধানের দক্ষতা বাড়ে। উন্নতির সাথে সাথে শিক্ষার্থীরা তাদের সামর্থ্য সম্পর্কে আত্মবিশ্বাসী হতে শুরু করে। নিজেদের প্রশংসা ও পুরস্কার প্রদান তাদের আরও উন্নতির দিকে ধাবিত করে। এর ফলে তাদের আত্ম-দক্ষতা এবং গণিতের প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধি পায়। এটি একটি ইতিবাচক চক্র তৈরি করে: শিক্ষার্থীরা যখন বিশ্বাস করতে শুরু করে যে তারা গণিতে সফল হতে পারে, তখন তারা আরও কঠোর পরিশ্রম করে এবং আত্মনিয়ন্ত্রিত শেখার সঠিক কৌশল প্রয়োগে সক্ষম হয়।
ঐতিহ্যগত শ্রেণিকক্ষে, গণিতকে সাধারণত একটি উত্তর-কেন্দ্রিক বিষয় হিসেবে দেখা হয়, প্রক্রিয়া-কেন্দ্রিক নয়। গতি ও নির্ভুলতার ওপর গুরুত্ব দিলে, শিক্ষার্থীরা কেবল তথ্য মুখস্থ করতে শেখে, কিন্তু গণিত বুঝে না। এছাড়া, ঐ পরিবেশে শেখার প্রবাহ শুধুমাত্র শিক্ষক থেকে শিক্ষার্থীর দিকে হয়। এর ফলে শিক্ষার্থীদের আত্মনিয়ন্ত্রিত শেখার কৌশল প্রয়োগ করা কঠিন হয়ে পড়ে, কারণ তারা যখন তাদের শেখার ওপর নিয়ন্ত্রণ পায় না, তখন তারা আত্ম-নিয়ন্ত্রণ শেখে না কিংবা স্বতঃস্ফূর্তভাবে তা প্রয়োগেও আগ্রহী হয় না।<ref>Camahalan, F. G. (2006). Effects of Self-Regulated Learning on Mathematics Achievement of Selected Southeast Asian Children. Journal Of Instructional Psychology, 33(3), 194-205.</ref> অতএব, আত্মনিয়ন্ত্রিত কৌশল প্রয়োগে শ্রেণিকক্ষের পরিবেশ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষার্থীদের কিছু নিয়ন্ত্রণ দিলে তারা শেখার সময় নিজেরাই সিদ্ধান্ত নিতে শেখে। গণিত শিক্ষকরা জ্ঞানের আদান-প্রদান এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ উৎসাহিত করা উচিত। শিক্ষার্থীরা যখন লক্ষ্য নির্ধারণ, পরিকল্পনা ও নিজেদের কাজ মূল্যায়নে অংশগ্রহণ করে, তখন তারা আত্মনিয়ন্ত্রিত শেখার কৌশল চর্চা করার সুযোগ পায় যা তাদের গণিত অর্জনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।
উচ্চ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা নিম্ন শ্রেণির শিক্ষার্থীদের তুলনায় আত্মনিয়ন্ত্রিত শেখার কৌশল ভালোভাবে প্রয়োগ করতে পারে।<ref>Camahalan, F. G. (2006). Effects of Self-Regulated Learning on Mathematics Achievement of Selected Southeast Asian Children. Journal Of Instructional Psychology, 33(3), 194-205.</ref> এর কারণ হলো, বড় শিক্ষার্থীরা আত্মনিয়ন্ত্রিত শেখার ধারণা ও কৌশলগুলো ভালোভাবে বুঝতে পারে। এছাড়া কিছু কৌশল যেমন পরিকল্পনা লেখা, শেখার উপাদান গুছিয়ে রাখা—এসবের জন্য পূর্বজ্ঞান দরকার হয়। ফলে বড়দের এসব কৌশল শেখা অপেক্ষাকৃত সহজ হয় এবং তারা গণিত অর্জনে তুলনামূলক বেশি উন্নতি করে।
== শিক্ষণ বিষয়ক প্রভাব ==
=== গণিত শেখার অক্ষমতা ===
সাম্প্রতিক গবেষণাগুলো যেগুলো জ্ঞানচর্চা, কার্যস্মৃতি এবং গণিত শেখার অক্ষমতা নিয়ে হয়েছে, সেগুলো দেখায় যে গণিতে “গণনা” এবং “সমস্যা সমাধান” দুটি আলাদা শেখার অক্ষমতা আছে। এতদিন গণিত মূল্যায়ন সাধারণ ছিল এবং এই দুই ডোমেইনের পার্থক্য বিবেচনায় নেওয়া হতো না। শিক্ষার্থী মূল্যায়নের সময় পেশাদারদের উচিত এই দুটি দক্ষতা আলাদাভাবে বিবেচনা করা। শিক্ষকদেরও উচিত শিশুদের শেখানোর সময় এই আলাদা ডোমেইন দুটি চিন্তা করে পরিকল্পনা করা। গণিত শেখাতে কিছু পরামর্শ ও টুলস শিক্ষার্থীদের উপকারে আসতে পারে:
=== বাহ্যিক উপস্থাপন ===
গণিতে সমস্যা সমাধান অনেক সময় মানসিকভাবে কঠিন হতে পারে, তাই বাহ্যিক উপস্থাপন অনেক উপকারী হতে পারে। এটি শিক্ষার্থীদের জন্য গণিতের ধারণা স্পষ্ট করে তুলে ধরে, যাতে তারা সহজেই জ্ঞান অর্জন করতে পারে। বাহ্যিক উপস্থাপনের কিছু উদাহরণ হলো—সমাধানসহ উদাহরণ, অ্যানিমেশন ও চিত্র।
==== সমাধানসহ উদাহরণ ====
ওয়ার্ক-আউট উদাহরণগুলো একটি দরকারী শিক্ষামূলক পদ্ধতি যা শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের গণিত শেখার সুবিধার্থে ব্যবহার করেন। গবেষণা দেখায় যে ওয়ার্ক-আউট উদাহরণগুলো ব্যবহার করে এমন শিক্ষার্থীদের বাড়িয়ে তুলতে পারে, যাদের গণিতের কর্মক্ষমতা স্তর কম। একটি কারণ হলো যখন শিক্ষার্থীদের সমাধান করার জন্য কোনও সমস্যা দেওয়া হয়, তখন তাদের সর্বোত্তম লক্ষ্য গণিত শেখার পরিবর্তে সমস্যাটি সমাধান করা। বিপরীতে, যখন শিক্ষার্থীদের কাজের উদাহরণ দেওয়া হয়, তখন তারা আসলে শিখে এবং তাদের নিজেরাই উপকরণগুলো ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করে।<ref>Renkl, A. (1999). Learning Mathematics from worked-out examples: Analyzing and Fostering self-explanations. ''European Journal of Psychology of Education, 14''(4), 477-488.</ref> সুতরাং, কাজ করা উদাহরণগুলো শিক্ষার্থীদের জন্য ইচ্ছাকৃত শিক্ষার উপর আরও বেশি ফোকাস করে। শিক্ষার্থীরা সাধারণত গাণিতিক তত্ত্ব বা প্রমাণ বুঝতে পারে না কারণ তারা বুঝতে জটিল। যাইহোক, পরিশ্রমী উদাহরণগুলো শিক্ষার্থীদের শেখার অর্জন এবং গণিতের ধারণাটি বোঝার জন্য সহজ। সুস্পষ্ট নির্দেশনা না দিয়ে, শিক্ষকরা কেবল শিক্ষার্থীদের উল্লেখ করার জন্য উদাহরণ হিসাবে গাণিতিক সমস্যাটি কীভাবে সমাধান করবেন তার পদক্ষেপগুলো দেখায়। গাণিতিক সমস্যা সমাধানের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপগুলোর বিস্তারিত ব্যাখ্যা রয়েছে। তারপরে, শিক্ষার্থীদের নিজেরাই একই ধরণের গাণিতিক সমস্যাটি স্ব-ব্যাখ্যা করার স্বায়ত্তশাসন রয়েছে। সুতরাং, তারা অনেক গাণিতিক সমস্যা সমাধানের জন্য রেফারেন্স হিসাবে কাজ করা উদাহরণগুলো ব্যবহার করতে পারে।<ref>Tu, C-T. (2011). An Instructional experiment: Using worked-out examples in mathematics problem-solving of elementary school students. ''Bulletin of Educational Psychology, 43''(1), 25-50.</ref> শিক্ষকরা যে পরিশ্রমী উদাহরণ দিয়েছেন তা উল্লেখ করে তারা কীভাবে সমস্যার সমাধান করা যায় সে সম্পর্কে তাদের চিন্তাভাবনাকে স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত করতে পারে। অতএব, এটি শিক্ষার্থীদের স্ব-নিয়ন্ত্রিত শিক্ষার ক্ষেত্রেও বাড়িয়ে তুলতে পারে কারণ তারা সমস্যা সমাধানে তাদের সমালোচনামূলক চিন্তাভাবনা অনুশীলন করছে। এই '''মেটাকগনিটিভ''' কৌশলটি শিক্ষার্থীদের বিশেষত গাণিতিক শব্দ সমস্যাগুলোতে তাদের সমস্যা সমাধানের দক্ষতা উন্নত করতে সহায়তা করতে পারে। মেটাকগনিটিভ কৌশলগুলোর মধ্যে স্ব-জিজ্ঞাসা, স্ব-মূল্যায়ন, সংক্ষিপ্তকরণ এবং সমস্যাটি চিত্রিত করা অন্তর্ভুক্ত।<ref>Tajika, H., Nakatsu, N., Nozaki H., Neumann, E., & Maruno S. (2007). Effects of Self-Explanation as a Metacognitive Strategy for Solving Mathematical Word Problems. ''Japanese Psychological Research, 49''(3), 222-233.</ref> এই কৌশলগুলো শিক্ষার্থীদের জন্য জ্ঞান অর্জন করার সময় কাজ করা উদাহরণগুলো থেকে আরও গভীর বোঝার জন্য তৈরি করে বলে বিশ্বাস করা হয়। গবেষণায় দেখা গেছে যে শিক্ষার্থীরা সমস্যাটি স্ব-ব্যাখ্যা করতে এবং তাদের সমাধান করতে পারে তাদের উচ্চতর গণিতের কৃতিত্ব রয়েছে। যখন শিক্ষার্থীরা নিজেরাই গাণিতিক সমস্যাটি কীভাবে সমাধান করা যায় তার পদক্ষেপগুলো ব্যাখ্যা করে, তখন তারা তাদের প্রতিফলিত চিন্তাভাবনা অনুশীলন করে যা তথ্য দেওয়া হয়েছিল তার বাইরেও বৃহত্তর বোঝার তৈরি করতে পারে। প্রকৃতপক্ষে, শিক্ষার্থীরা গণিতের নতুন এবং পরিশীলিত জ্ঞান বিকাশ করতে পারে কারণ তারা তাদের পূর্ব জ্ঞানের সাথে নতুন শেখা উপকরণগুলোকে একত্রিত করে।<ref>Tajika, H., Nakatsu, N., Nozaki H., Neumann, E., & Maruno S. (2007). Effects of Self-Explanation as a Metacognitive Strategy for Solving Mathematical Word Problems. ''Japanese Psychological Research, 49''(3), 222-233.</ref> উপরন্তু, ওয়ার্ক-আউট উদাহরণগুলো গ্রুপ সেটিংসেও ব্যবহার করা যেতে পারে যেখানে শিক্ষার্থীরা গাণিতিক সমস্যা সমাধানে তাদের সহপাঠীদের সাথে আলোচনা করতে পারে। গবেষণায় দুটি উপায় পাওয়া গেছে যাতে শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষে ওয়ার্ক-আউট উদাহরণ ব্যবহার করতে পারে।<ref>Mevarech, Z. R., & Kramarski, B. (2003). The Effects of Metacognitive Training versus Worked-out Examples on Students’ mathematical reasoning. ''British Journal of Educational Psychology, 73''(4), 449-471. doi: http://dx.doi.org.proxy.lib.sfu.ca/10.1348/000709903322591181</ref> একটা উপায় হলো, যারা কাজের উদাহরণ বোঝে তারা যারা বোঝে না তাদের বোঝাতে পারবে। অন্য উপায়টি হলো শিক্ষার্থীরা তাদের যুক্তি এবং যুক্তি দক্ষতা ব্যবহার করে সম্পূর্ণরূপে কার্যকরী উদাহরণগুলো ব্যাখ্যা করে। উভয় উপায়ে শিক্ষার্থীদের কাজের উদাহরণগুলোর বিশদ আলোচনা করে একটি সামাজিক ইন্টারেক্টিভ সেটিংয়ে শেখার সাথে জড়িত। একটি সামাজিক সেটিংয়ে শেখা উপকরণগুলোর বোঝাপড়াকে শক্তিশালী করতে পারে কারণ শিক্ষার্থীরা উদাহরণগুলো আরও গভীরভাবে প্রসারিত করছে। একটি স্পষ্ট বোঝার জন্য তারা কাজ করা উদাহরণগুলোর সাথে তাদের যে কোনও প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করতে পারে।<ref>Mevarech, Z. R., & Kramarski, B. (2003). The Effects of Metacognitive Training versus Worked-out Examples on Students’ mathematical reasoning. ''British Journal of Educational Psychology, 73''(4), 449-471.</ref> তাই, শিক্ষার্থীদের উচিত ছোট দলে ভাগ হয়ে উদাহরণগুলো নিয়ে আলোচনা করা এবং সমস্যা সমাধানের প্রক্রিয়া প্রতিফলিত করে নতুন জ্ঞান অর্জন করা।
==== অ্যানিমেশন ====
গণিত শিক্ষায় শিক্ষার্থীদের আগ্রহ বাড়াতে অ্যানিমেশন একটি দারুণ কার্যকর শিক্ষণ উপকরণ হিসেবে বিবেচিত। যেহেতু গণিত অনেক সময় বিরক্তিকর এবং অনাকর্ষণীয় মনে হতে পারে, তাই অ্যানিমেশন শিক্ষার্থীদের মধ্যে গণিত শেখার আগ্রহ সৃষ্টি করতে পারে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, অ্যানিমেশন শিক্ষার্থীদের সমস্যা সমাধানের দক্ষতা বাড়াতে সহায়ক বলে দাবি করা হয়।<ref>Scheiter, K., Gerjets, P., & Schuh, J. (2010). The Acquisition of Problem-Solving Skills in Mathematics: How Animations Can Aid Understanding of Structural Problem Features and Solutions Procedures. ''Instructional Science, 38''(5), 487-502. doi: http://dx.doi.org.proxy.lib.sfu.ca/10.1007/s11251-009-9114-9</ref>
যেকোনো গণিত সমস্যার সমাধান করার আগে শিক্ষার্থীদের জন্য সমস্যাটি চিহ্নিত করা এবং কী সমাধান করতে হবে তা জানা গুরুত্বপূর্ণ। এই পর্যায়ে, যদি শিক্ষার্থীদের পক্ষে সমস্যাটি অনুবাদ বা বোঝা কঠিন হয়ে পড়ে, তখন অ্যানিমেশন সবচেয়ে কার্যকর হয়ে ওঠে কারণ এতে চিত্রভিত্তিক উপস্থাপনা থাকে যা শিক্ষার্থীদের জন্য প্রশ্নটি ব্যাখ্যা করা সহজ করে তোলে। বিপরীতে, যখন শিক্ষার্থীরা শুধুই সমস্যার নোট নেয়, তখন তারা কেবল পাঠ্য অনুলিপি করে, যার ফলে সমস্যার প্রকৃত অর্থ বোঝা সম্ভব হয় না। তবে যদি সমস্যার ব্যাখ্যার পাশাপাশি একটি চিত্র উপস্থাপন করা হয়, তাহলে শিক্ষার্থীরা সম্পূর্ণরূপে বুঝতে পারে সমস্যার পটভূমি।
উদাহরণস্বরূপ, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য যোগ ও বিয়োগের ধারণা পাঠ্যপাঠের মাধ্যমে বোঝানো কঠিন হতে পারে। কিন্তু, যখন একটি সমস্যার আগের ও পরের অবস্থা অ্যানিমেশনের মাধ্যমে দেখানো হয়, তখন এটি একটি পরিষ্কার ধারণা তৈরি করতে পারে। যোগ ও বিয়োগ ভিত্তিক সমস্যার ক্ষেত্রে, অ্যানিমেশন বস্তুর সংখ্যা বৃদ্ধি বা হ্রাস প্রদর্শনের মাধ্যমে সমাধান ব্যাখ্যা করতে পারে। এছাড়াও, অ্যানিমেশন বিমূর্ত গণিত তত্ত্বকে দৃশ্যমান বস্তু, নির্দিষ্ট ফলাফল এবং বাস্তব উদাহরণের মাধ্যমে উপস্থাপন করতে পারে। ফলে, অ্যানিমেশন ব্যবহার করে গণিতের বিমূর্ত ধারণাগুলোকে নির্দিষ্ট উদাহরণের সঙ্গে যুক্ত করে শেখানো যায়।<ref>Scheiter, K., Gerjets, P., & Schuh, J. (2010). The Acquisition of Problem-Solving Skills in Mathematics: How Animations Can Aid Understanding of Structural Problem Features and Solutions Procedures. ''Instructional Science, 38''(5), 487-502. doi: http://dx.doi.org.proxy.lib.sfu.ca/10.1007/s11251-009-9114-9</ref>
অ্যানিমেশন দৃশ্যমান উপস্থাপনার মাধ্যমে বিমূর্ত নীতিগুলোর অধিগ্রহণ এবং উদাহরণ বিশ্লেষণের ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে পারে। যদিও উদাহরণ বিশ্লেষণ একটি কার্যকর শিক্ষণ কৌশল হিসেবে পরিচিত, তবুও অ্যানিমেশন এই উদাহরণগুলোকে আরও উন্নত করতে পারে।<ref>Scheiter, K., Gerjets, P., & Schuh, J. (2010). The Acquisition of Problem-Solving Skills in Mathematics: How Animations Can Aid Understanding of Structural Problem Features and Solutions Procedures. ''Instructional Science, 38''(5), 487-502. doi: http://dx.doi.org.proxy.lib.sfu.ca/10.1007/s11251-009-9114-9</ref> উদাহরণ বিশ্লেষণ সব সময় চিত্র সহ হয় না, বরং কেবল পাঠ্য থাকতে পারে। তাই, যদি প্রতিটি ধাপের জন্য চিত্র উপস্থাপন থাকে, তাহলে শিক্ষার্থীরা সমস্যা ও সমাধানের বিষয়টি কল্পনা করতে পারে। শিক্ষার্থীরা ব্যাখ্যা ও চিত্রের মাধ্যমে উদাহরণগুলো আরও ভালোভাবে ব্যাখ্যা করতে পারে। ফলস্বরূপ, শিক্ষকদের উচিত অ্যানিমেশনকে একটি শিক্ষণ কৌশল হিসেবে ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের গণিত শিক্ষাকে আরও সুদৃঢ় করা।
==== রেখাচিত্র ====
তথ্যভিত্তিক রেখাচিত্র তৈরি করা একটি কঠিন কাজ, কারণ শিক্ষার্থীদের শুধু মৌখিক তথ্যকে চিত্রে রূপান্তর করলেই হয় না, বরং সংশ্লিষ্ট তথ্যগুলো চিহ্নিত ও একত্রিত করে পূর্বজ্ঞান ব্যবহার করতে হয়।<ref>van Garderen, D., Scheuermann, A., & Poch, A. (2014). Challenges students identified with a learning disability and as high-achieving experience when using diagrams as a visualization tool to solve mathematics word problems. ZDM Mathematics Education, 46, 135–149.</ref>
লারকিন এবং সাইমন বিশ্বাস করতেন যে, অনুচ্ছেদ ভিত্তিক উপস্থাপনার তুলনায় চিত্রভিত্তিক উপস্থাপন আরও সহজ ও কার্যকর, বিশেষত অনুসন্ধান, মেলানো এবং উপসংহারের ক্ষেত্রে। প্রথমত, এটি শব্দ সমস্যার উপাদানগুলোর মধ্যে টপোগ্রাফিক এবং জ্যামিতিক সম্পর্ক স্পষ্টভাবে ধরে রাখে, ফলে শিক্ষার্থীরা নির্দিষ্ট তথ্য খুঁজে পেতে সহজতর হয়। দ্বিতীয়ত, সংশ্লিষ্ট উপাদানগুলো একত্রে গোষ্ঠীবদ্ধ থাকায় এটি বিমূর্ত উপস্থাপনা ও চিত্রচিহ্নের মধ্যে সম্পর্ক পরিষ্কার করে তোলে। তৃতীয়ত, যদি সমস্যাটি চিত্র এঁকে তৈরি করা হয়, তবে মেমরি লোড কমে যায় কারণ শিক্ষার্থীরা সংশ্লিষ্ট তথ্যগুলোর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্ক স্পষ্টভাবে দেখতে পারে।<ref>Larkin, J., & Simon, H. (n.d.). Why a Diagram is (Sometimes) Worth Ten Thousand Words. Cognitive Science, 65-100.</ref>
অনেক গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে, রেখাচিত্রের ব্যবহার সমস্যার সমাধান দক্ষতা বাড়াতে পারে।
বানার্জি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের গণিত শব্দ সমস্যার সমাধানে রেখাচিত্র ব্যবহার করার প্রভাব নিয়ে একটি গবেষণা করেন। গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে, রেখাচিত্র তৈরির পদ্ধতি (যেমন রেখাচিত্র আঁকা ও লেবেলিং) গণিত সমস্যা সমাধানে শিক্ষার্থীদের অর্জন উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করে।<ref>Banerjee, B. (2011). The effects of using diagramming as a representational technique on high school students' achievement in solving math word problems. Dissertation Abstracts International Section A, 71, 394</ref>
[[চিত্র:Percentage_of_correct_answers_between_the_Japanese_and_New_Zealand_students.jpg|থাম্ব|জাপান এবং নিউজিল্যান্ডের শিক্ষার্থীদের মধ্যে রেখাচিত্র ব্যবহার করে গণিত শব্দ সমস্যার সঠিক উত্তরের শতাংশের তুলনা]]
এক গবেষণায়, উসাকা, মানালো এবং ইচিকাওয়া জাপান ও নিউজিল্যান্ডের শিক্ষার্থীদের তুলনা করেন।<ref>Uesaka, Y., Manalo, E., & Ichikawa, S. (2007). What kinds of perceptions and daily learning behaviors promote students' use of diagrams in mathematics problem solving?. Learning And Instruction, 17(3), 322-335.</ref> জাপানি শিক্ষার্থী একটি একক বস্তু ভিত্তিক রেখাচিত্র ব্যবহার করেছিল, এবং নিউজিল্যান্ডের শিক্ষার্থী দুটি মাত্রার বস্তু ব্যবহার করেছিল। গবেষণায় দেখা যায় যে, নিউজিল্যান্ডের শিক্ষার্থীদের সঠিক উত্তরের হার জাপানি শিক্ষার্থীদের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। এর কারণ হলো, রেখাচিত্র উপস্থাপনা সমস্যার বাক্যগুলোকে অবস্থানের ভিত্তিতে চিহ্নিত করে, যার ফলে শিক্ষার্থীরা নির্দিষ্ট স্থানে বিস্তারিতভাবে তথ্য পর্যবেক্ষণ করতে পারে এবং সমস্যা বুঝতে সুবিধা হয়।<ref>Uesaka, Y., Manalo, E., & Ichikawa, S. (2007). What kinds of perceptions and daily learning behaviors promote students' use of diagrams in mathematics problem solving?. Learning And Instruction, 17(3), 322-335.</ref>
শিক্ষার্থীদের রেখাচিত্র ব্যবহার করে সমস্যা সমাধানে উদ্বুদ্ধ করতে হলে, শিক্ষককে প্রথমে তাদের শেখাতে হবে— ১) রেখাচিত্র কী, ২) সমস্যার সমাধানে রেখাচিত্র ব্যবহারের গুরুত্ব, ৩) কখন রেখাচিত্র ব্যবহার করতে হবে, ৪) কোন ধরণের রেখাচিত্র কোন সমস্যায় প্রযোজ্য, ৫) কীভাবে রেখাচিত্র তৈরি করতে হয়, এবং ৬) কীভাবে রেখাচিত্র কার্যকরভাবে ব্যবহার করতে হয়। শিক্ষার্থীদের রেখাচিত্রের মৌলিক ধারণাগুলো জানা জরুরি কারণ সব গণিত সমস্যায় রেখাচিত্র প্রযোজ্য নয়। উসাকা ও মানালো দেখিয়েছেন যে শিক্ষার্থীরা সাধারণত দৈর্ঘ্য ও দূরত্ব সম্পর্কিত শব্দ সমস্যায় রেখাচিত্র ব্যবহার করে, কারণ এসব সমস্যা সাধারণত নির্দিষ্ট পরিমাণ এবং বাস্তব সম্পর্ক নিয়ে কাজ করে।<ref>Uesaka, Y., & Manalo, E. (2012). Task-related factors that influence the spontaneous use of diagrams in math word problems. Applied Cognitive Psychology, 26, 251–260.</ref>
এই ধারণাগুলো শেখানোর পর, শিক্ষকরা তিন ধাপের একটি পদ্ধতি— "জিজ্ঞাসা করো, করো, যাচাই করো"— ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ দিতে পারেন।<ref>van Garderen, D., & Scheuermann, A. (2015). Diagramming word problems: A strategic approach for instruction. Intervention in School and Clinic</ref> ভ্যান গার্ডেরেন এবং শুয়ারম্যান পরামর্শ দিয়েছেন যে শিক্ষার্থীরা প্রথমে কোন সমস্যাটি সমাধান করতে হবে তা শনাক্ত করবে; এরপর একটি রেখাচিত্র আঁকবে; শেষে রেখাচিত্র ব্যবহার করে সমস্যাটি সমাধান করবে। উদাহরণস্বরূপ, সমস্যার প্রাসঙ্গিক তথ্য খুঁজে পেতে শিক্ষার্থীরা কী-শব্দ পদ্ধতি ব্যবহার করতে পারে এবং সমস্যায় দেওয়া তথ্য সঠিকভাবে স্থাপন করতে পারে।<ref>Walker, D. W., & Poteet, J. A. (1989-90). A comparison of two methods of teaching mathematics story problem-solving with learning disabled students. National Forum of Special Education Journal, 1, 44-51.</ref>
সারসংক্ষেপে, রেখাচিত্র গণিত সমস্যার সমাধানে একটি কার্যকর কৌশল হতে পারে; এটি শিক্ষার্থীদের সমালোচনামূলক চিন্তায় সহায়তা করে এবং বিকল্প উপায়ে সমস্যার সমাধান করতে সাহায্য করে।
=== অ্যালগরিদম ===
অ্যালগরিদম হলো একাধিক ধাপের একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া যা শিক্ষার্থীদের গণিত সমস্যা সমাধানে সাহায্য করে। যদি তারা প্রতিটি ধাপ অনুসরণ করে, তাহলে তারা প্রতি বারই একটি সঠিক উত্তর বের করতে সক্ষম হয়। অ্যালগরিদম সাধারণত পুনরাবৃত্ত ক্রমের উপর ভিত্তি করে এবং এটি যোগ, বিয়োগ, গুণ ও ভাগে প্রযোজ্য। অ্যালগরিদম ব্যবহার করে শিক্ষার্থীরা প্রতিটি ধাপে কী ঘটছে তা ব্যাখ্যা করতে শেখে এবং ভুল হলে তা শনাক্ত করতে পারে। এটি তাদের সমস্যা সমাধানের সময় প্রতিটি ধাপে মনোযোগ দেওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলে। একাধিক ধাপ বিশিষ্ট সমস্যার সমাধানে, শিক্ষার্থীদের দীর্ঘমেয়াদি স্মৃতি থেকে অ্যালগরিদম স্মরণ করে মানসিকভাবে ধাপগুলো অনুসরণ করতে হয়।
শিক্ষকদের উচিত শিক্ষার্থীদের শেখানো যে অ্যালগরিদম সবসময় ধারাবাহিকভাবে সমাধান করতে হবে; কোনও ধাপ বাদ দেওয়া যাবে না। উদাহরণস্বরূপ, যখন শিক্ষার্থীরা ৫+৮×৬ সমস্যার সমাধান করে, তখন তাদের বুঝতে হবে যে প্রথমে গুণ করতে হবে, এরপর যোগ করতে হবে। যদি তারা সঠিক ক্রম অনুসরণ করে, তাহলে তারা সবসময় সঠিক উত্তর পাবে।
তবে, পল কব একটি গবেষণায় গ্রেড ১ ও ২-এর শিক্ষার্থীদের ডাবল ডিজিট যোগের সমস্যা সমাধান নিয়ে গবেষণা করেন। তিনি দেখেছেন, ১৬+৯ সমাধানে বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করে শিক্ষার্থীরা সঠিক উত্তর দিতে পেরেছে। কিন্তু যখন তাদের ঐ একই সমস্যা প্রচলিত স্কুল অ্যালগরিদম (সংখ্যা হাতে থাকা সহ) ব্যবহার করে উল্লম্বভাবে সমাধান করতে বলা হয়, তখন অনেকেই ভুল উত্তর দেয়। তিনি উপসংহার টানেন যে, প্রচলিত অ্যালগরিদমে শিক্ষার্থীরা কেবল নিয়ম অনুসরণ করতে চেষ্টা করে, কিন্তু কিভাবে অ্যালগরিদমটি কাজ করে তা প্রকৃতপক্ষে বুঝে না বলেই তাদের ভুল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।<ref>Cobb, P. (1991). Reconstructing Elementary School Mathematics. Focus on Learning Problems in Mathematics, 13(2), 3–32.</ref>
জে. এস. ব্রাউন এবং বার্টন দেখেছেন যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিক্ষার্থী ধারাবাহিকভাবে তাদের গাণিতিক সমস্যা সমাধানের জন্য এক বা একাধিক ভুল অ্যালগরিদম ব্যবহার করছে। যদিও অনেক ভুল অ্যালগরিদম সঠিক উত্তর দিতে পারে, তবুও তা সব ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।<ref>Brown, J.S., Burton, R.B. (1978). Diagnostic models for procedural bugs in basic mathematical skills. Cognitive Science, 2, 155-192</ref> উদাহরণস্বরূপ, কিছু শিশুর মনে একটি পূর্বধারণা ছিল যে বিয়োগ অ্যালগরিদম মানে হলো প্রতিটি কলামে উপরের সংখ্যাটির সঙ্গে নিচের সংখ্যাটি তুলনা করে ছোটটি বড় থেকে বিয়োগ করা, উপরের সংখ্যাটি বড় কি না, তা না জেনেই। বাম পাশের চিত্রটি ব্যাখ্যা করে কেন একটি ভুল অ্যালগরিদম সবসময় সঠিক সমাধান দিতে পারে না।
[[চিত্র:Faulty_algorithm_of_subtraction.jpg|থাম্ব|একটি চিত্র যা ব্যাখ্যা করে কেন একটি ভুল অ্যালগরিদম কাজ করে না]]
ব্রাউন এবং বার্টন উল্লেখ করেছেন, এমনকি যেসব শিশু বিয়োগের অ্যালগরিদম সম্পর্কে ভুল ধারণা পোষণ করে, তারা হয়তো মনে করে যে তারা বিয়োগ প্রক্রিয়াটি বুঝে ফেলেছে। এই ভুল ধারণা তাদের (a) ও (c) অংশে সঠিক উত্তর দিতে সাহায্য করতে পারে। কিন্তু (b) ও (d) অংশে ভুল উত্তর দিবে, কারণ সেসব ক্ষেত্রে দ্বিতীয় কলামে উপরের সংখ্যা নিচের চেয়ে ছোট।
নাগেল এবং সুইঙ্গেন মনে করেন, ধারক বা ঋণ নেওয়ার মাধ্যমে প্রচলিত অ্যালগরিদমগুলো কার্যকারিতা এবং নির্ভুলতা বাড়াতে পারে, কিন্তু শিক্ষার্থীদের বোঝার সক্ষমতা বাড়াতে ব্যর্থ হয়।<ref>Nagel, N., & Swingen, C. C. (1998). Students’ explanations of place value in addition and subtraction. Teaching Children Mathematics, 5(3), 164–170.</ref>
সুতরাং, ধারাবাহিক অ্যালগরিদম ব্যবহারে শিক্ষার্থীরা যাতে সফল হয়, এর জন্য শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের জায়গা ভিত্তিক চিন্তাশক্তি ব্যবহার করে ধাপে ধাপে সমাধান শেখানো উচিত। যেমন, সঠিকভাবে সংখ্যাগুলো সাজানো এবং ফাঁকা জায়গা রেখে লেখা শেখাতে হবে—বিশেষ করে কলামভিত্তিক বিয়োগ, একাধিক অঙ্কের গুণ ইত্যাদিতে। শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করতে হবে যেন তারা নিজের অ্যালগরিদম তৈরি করে সমস্যার সমাধান করে। শিক্ষকরা তাদের মনের মধ্যে mnemonics ব্যবহার করতে উদ্বুদ্ধ করতে পারেন; এই পদ্ধতি সমস্যার ধাপগুলো মনে রাখতে সাহায্য করে।<ref>Nelson, P. M., Burns, M. K., Kanive, R., & Ysseldyke, J. E. (2013). Comparison of a math fact rehearsal and a mnemonic strategy approach for improving math fact fluency. Journal Of School Psychology, 51(6), 659-667. doi:10.1016/j.jsp.2013.08.003</ref> যেমন, PEDMAS শিক্ষার্থীদের বলে দেয় কোন ক্রমে গাণিতিক কাজ করতে হবে। শুধু বাম থেকে ডানে গাণিতিক অপারেশন করলেই চলবে না, আগে বন্ধনীর কাজ শেষ করতে হবে।<ref>Jeon, K. (2012). Reflecting on PEMDAS. Teaching Children Mathematics, 18(6), 370-377.</ref> পাশাপাশি শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করবেন যেন তারা প্রথমে পুরো সমস্যাটি পড়ে বোঝে, এরপর সেটিকে ছোট ছোট অংশে ভাগ করে কোন অংশে কোন অ্যালগরিদম লাগবে তা নির্ধারণ করে। প্রতিটি ধাপে তাদের উত্তর পুনর্বিবেচনা করতে শেখানো উচিত। ধাপগুলো লিখে রাখলে শিক্ষার্থীরা ভুল ধরতে পারে এবং শেষ পর্যন্ত সঠিক সমাধানে পৌঁছাতে পারে।
=== শব্দভিত্তিক সমস্যার কৌশল ===
শব্দভিত্তিক সমস্যা সব শিশুদের জন্যই একটি বিশেষ ধরণের চ্যালেঞ্জ, তবে যাদের সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে শেখার অসুবিধা রয়েছে, তাদের জন্য এটি আরও কঠিন। গাণিতিক সমস্যা ও শব্দভিত্তিক সমস্যার মধ্যে প্রধান পার্থক্য হলো ভাষাগত তথ্যের সংযুক্তি। অর্থাৎ, শিশুদের প্রথমে সমস্যাটির লেখা পড়ে প্রাসঙ্গিক তথ্য বাছাই করে সেটিকে সংখ্যাগত সমস্যায় রূপান্তর করতে হয়। এরপর তাদের নির্ধারণ করতে হয় কোন তথ্যটি প্রয়োজনীয় এবং কোনটি অনুপস্থিত।
শব্দভিত্তিক সমস্যা অনেক শিক্ষার্থীর জন্য বোঝা কঠিন, তবে সমস্যাটি আরও জটিল হয় যখন শিক্ষার্থীর প্রথম ভাষা ইংরেজি না হয়। Jan এবং Rodrigues (2012)<ref>Jan, S. and Rodrigues, S., (2012). Students' difficulties in comprehending mathematical word problems in English language learning contexts. International Researcher, Vol. 1, Issue 3, Accessed Dec 4, 2015 from http://www.academia.edu/2078056/STUDENTS_DIFFICULTIES_IN_COMPREHENDING_MATHEMATICAL_WORD_PROBLEMS_IN_ENGLISH_LANGUAGE_LEARNING_CONTEXTS</ref> এর মতে, যাদের ইংরেজি দ্বিতীয় ভাষা, তারা ভাষাগত প্রতিবন্ধকতার কারণে সমস্যার বক্তব্য বুঝতে পারে না। তারা প্রায়শই মূল শব্দের উপর নির্ভর করে অথবা বক্তব্য ভুল ব্যাখ্যা করে, ফলে ভুল সমাধান আসে। মূল শব্দের উপর নির্ভরশীলতা শিক্ষার্থীদের সমস্যা বোঝা থেকে বিচ্যুত করে। "মূল শব্দের ব্যবহার দৈনন্দিন ভাষা ও গাণিতিক ভাষার মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি করতে পারে।"<ref>Jan, S. and Rodrigues, S., (2012). Students' difficulties in comprehending mathematical word problems in English language learning contexts. International Researcher, Vol. 1, Issue 3, P. 156, Accessed Dec 4, 2015 from http://www.academia.edu/2078056/STUDENTS_DIFFICULTIES_IN_COMPREHENDING_MATHEMATICAL_WORD_PROBLEMS_IN_ENGLISH_LANGUAGE_LEARNING_CONTEXTS</ref>
এই গবেষণার ফলাফল থেকে জানা যায় যে শ্রেণিকক্ষে আলোচনা বা ছোট ছোট দলের আলোচনা শিক্ষার্থীদের সমস্যাটি কী এবং কী জানতে চাওয়া হচ্ছে তা পরিষ্কারভাবে বুঝতে সাহায্য করে। শিক্ষার্থীদের পড়া, বোঝা, মতামত বিনিময় এবং বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে সমস্যা ও সমাধান নিয়ে চিন্তা করার সুযোগ দিলে তারা সমস্যাটি আরও ভালোভাবে বুঝতে পারে।
শব্দভিত্তিক সমস্যা শেখানোর ক্ষেত্রে শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের যথেষ্ট সুযোগ দেবেন যেন তারা সমস্যার অর্থ নিয়ে চিন্তা ও আলোচনা করতে পারে এবং সহপাঠীদের সঙ্গে মিলে একাধিক সমাধান ভাবতে পারে। এই পদ্ধতি ভাষাগত সমস্যাযুক্ত শিক্ষার্থী এবং গাণিতিক শেখার সমস্যাযুক্ত শিক্ষার্থীদের জন্য কার্যকর।
শিক্ষা প্রতিবন্ধী পরিষ <ref>http://www.council-for-learning-disabilities.org/mathematics-disabilities</ref> সমস্যা সমাধানে শিক্ষার্থীদের শেখানোর জন্য কিছু কৌশল প্রস্তাব করে:
''ফাস্ট ড্র'' (মার্সার এবং মিলার, ১৯৯২): আপনি কী সমাধান করছেন তা খুঁজে বের করুন।
নিজেকে জিজ্ঞাসা করুন, "সমস্যাটির অংশগুলি কী?"
সংখ্যাগুলি সেট আপ করুন।
চিহ্নটি বেঁধে দিন।
চিহ্নটি আবিষ্কার করুন।
সমস্যাটি পড়ুন।
উত্তর দিন, অথবা আঁকুন এবং পরীক্ষা করুন।
উত্তর লিখুন।
<nowiki>''প্রশ্ন এবং ক্রিয়া''</nowiki> (রিভেরা, ১৯৯৪)
পদক্ষেপ
ক. সমস্যাটি পড়ুন।
প্রশ্ন
এমন কোন শব্দ আছে যা আমি জানি না?
আমি কি প্রতিটি শব্দের অর্থ জানি?
আমার কি সমস্যাটি পুনরায় পড়ার প্রয়োজন?
সংখ্যার শব্দ আছে?
ক্রিয়া
শব্দগুলি নিম্নরেখাঙ্কিত করুন।
সংজ্ঞাগুলি খুঁজে বের করুন।
পুনরায় পড়ুন।
নিম্নরেখাঙ্কিত করুন।
খ. সমস্যাটি পুনরায় বর্ণনা করুন।
কোন তথ্য গুরুত্বপূর্ণ?
কোন তথ্যের প্রয়োজন নেই?
প্রশ্নটি কী জিজ্ঞাসা করা হচ্ছে?
নিম্নরেখাঙ্কিত করুন।
ক্রস আউট করুন।
নিজের শব্দে লিখুন।
গ. একটি পরিকল্পনা তৈরি করুন।
তথ্যগুলো কী কী?
সেগুলো কীভাবে সংগঠিত করা যেতে পারে?
কত ধাপ আছে?
আমি কোন কোন ক্রিয়াকলাপ ব্যবহার করব?
একটি তালিকা তৈরি করুন।
চার্ট তৈরি করুন।
কৌশল ব্যবহার করুন।
ছোট সংখ্যা ব্যবহার করুন।
একটি ক্রিয়াকলাপ নির্বাচন করুন।
ঘ. সমস্যাটি গণনা করুন।
আমি কি সঠিক উত্তর পেয়েছি?
অনুমান করুন।
অংশীদারের সাথে পরীক্ষা করুন।
ক্যালকুলেটর দিয়ে যাচাই করুন।
ঙ. ফলাফল পরীক্ষা করুন।
আমি কি প্রশ্নের উত্তর দিয়েছি?
আমার উত্তর কি যুক্তিসঙ্গত বলে মনে হচ্ছে?
আমি কি প্রশ্ন/উত্তর পুনঃবক্তৃতা করতে পারি?
প্রশ্ন/উত্তর পরীক্ষা করুন।
একটি সংখ্যা বাক্য লিখুন।
৩. <nowiki>''টিআইএনএস কৌশল''</nowiki> (ওওয়েন, ২০০৩)
শব্দ সমস্যা বিশ্লেষণ এবং সমাধানের জন্য ব্যবহৃত বিভিন্ন পদক্ষেপ এই সংক্ষিপ্ত রূপ দিয়ে উপস্থাপন করা হয়েছে।
চিন্তা: এই সমস্যা সমাধানের জন্য আপনার কী করতে হবে তা নিয়ে ভাবুন এবং মূল শব্দগুলিকে বৃত্তাকার করুন।
তথ্য: এই সমস্যা সমাধানের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য বৃত্তাকার করুন এবং লিখুন; একটি ছবি আঁকুন; অপ্রয়োজনীয় তথ্য বাদ দিন।
সংখ্যা বাক্য: সমস্যাটি উপস্থাপনের জন্য একটি সংখ্যা বাক্য লিখুন।
সমাধান বাক্য: আপনার উত্তর ব্যাখ্যা করে এমন একটি সমাধান বাক্য লিখুন।
উদাহরণ: কাইল ৬টি বেসবল কার্ড কিনেছে। পরের দিন, সে তার সংগ্রহে আরও ১১টি কার্ড যোগ করেছে। তার কাছে মোট কতটি কার্ড আছে?
চিন্তা: +
তথ্য: ৬টি বেসবল কার্ড, ১১টি বেসবল কার্ড
সংখ্যা বাক্য: ৬ + ১১ =
সমাধান বাক্য: কাইলের সংগ্রহে ১৭টি বেসবল কার্ড রয়েছে।
৪. <nowiki>''সমস্যা সমাধান''</nowiki> (বীরশ, লিয়ন, ডেনকলা, অ্যাডামস, মোটস এবং স্টিভস, ১৯৯৭)
প্রথমে সমস্যাটি পড়ো।
প্রশ্নটি হাইলাইট করো।
গুরুত্বপূর্ণ তথ্য চিহ্নিত করো।
একটি পরিকল্পনা তৈরি করো।
সংখ্যাগুলো বোঝাতে চিত্র বা বস্তু ব্যবহার করো।
পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করো।
তোমার কাজ যাচাই করো।
==== বীজগণিত শেখানোর জন্য কগনিটিভ টিউটর ====
১৯৮৫ সালে, অ্যান্ডারসন, বয়েল এবং রেইজার বুদ্ধিমান শেখানোর পদ্ধতিতে কগনিটিভ মনস্তত্ত্ব যুক্ত করেন। এরপর থেকে এই পদ্ধতির মাধ্যমে ছাত্রদের শেখানোর জন্য কগনিটিভ মডেল তৈরি করা হয়। এ নাম রাখা হয় কগনিটিভ টিউটরস।<ref name="anderson et al. 1995">Anderson, J. R., Corbett, A. T., Koedinger, K. R., & Pelletier, R. (1995). Cognitive Tutors: Lessons learned. Journal of the Learning Sciences, 4(2), 167.</ref> সবচেয়ে জনপ্রিয় কগনিটিভ টিউটর হলো Cognitive Tutor® Algebra I।<ref name="k&c, 2006">Koedinger, K. R., & Corbett, A. (2006). Cognitive tutors. The Cambridge handbook of the learning sciences, 61-77.</ref> এটি তৈরি করেছে কার্নেগি লার্নিং, ইনকর্পোরেটেড। তারা এখন বীজগণিত I, II, বীজগণিতের সেতু, জ্যামিতি এবং ইন্টিগ্রেটেড ম্যাথ I, II, III সহ সম্পূর্ণ Cognitive Tutor® তৈরি করছে। Cognitive Tutor®-এ এখন স্প্যানিশ মডিউলও যুক্ত হয়েছে।
==== কীভাবে শেখাতে হবে ====
দুটি অন্তর্নির্মিত অ্যালগরিদম—'''''মডেল ট্রেসিং''''' এবং '''নলেজ ট্রেসিং''' শিক্ষার্থীদের শেখার প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করতে সাহায্য করে। মডেল ট্রেসিং শিক্ষার্থীর প্রতিটি ধাপের ভিত্তিতে ঠিক সময়ে প্রতিক্রিয়া, অনুরোধে পরামর্শ এবং বিষয়ভিত্তিক দিকনির্দেশনা দেয়।<ref name="anderson et al. 1995" /> Knowledge tracing প্রতিটি শিক্ষার্থীর পূর্বজ্ঞান অনুযায়ী শেখার কাজ নির্ধারণ করে।<ref name="anderson et al. 1995" /><ref name="k&c, 2006" />
তোমরা ''[http://en.wikibooks.org/wiki/Cognition_and_Instruction/Problem_Solving,_Critical_Thinking_and_Argumentation Problem Solving, Critical Thinking, and Argumentation]'' অধ্যায়ের (2.5.2 Theoretical background of Cognitive Tutor) অংশে গিয়ে বিস্তারিত জানতে পারো কীভাবে কগনিটিভ টিউটর বীজগণিত শেখাতে সাহায্য করে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া, অনুরোধভিত্তিক পরামর্শ, বিষয়ভিত্তিক নির্দেশনা ও ব্যক্তিকৃত কাজের মাধ্যমে।
==== Cognitive Tutor® Algebra I এর মিশ্র প্রভাব ====
কগনিটিভ টিউটরের কার্যকারিতা নিয়ে পূর্ববর্তী গবেষণার প্রমাণ থেকে দেখা যায়, শ্রেণিকক্ষে শিক্ষকের পাঠদানের তুলনায় কগনিটিভ টিউটর অধিক কার্যকর।<ref name="anderson et al. 1995" /><ref>Koedinger, K. R. & Anderson, J. R. (1993). Effective use of intelligent software in high school math classrooms. In Proceedings of the World Conference on Artificial Intelligence in Education, (pp. 241-248). Charlottesv</ref><ref name="K&A&M">Koedinger, K., Anderson, J., Hadley, W., & Mark, M. (1997). Intelligent tutoring goes to school in the big city. Human-Computer Interaction Institute.</ref><ref>Corbett, A. T., & Anderson, J. R. (2001). Locus of feedback control in computer-based tutoring: Impact on learning rate, achievement and attitudes. In Proceedings of the SIGCHI Conference on Human Factors in Computing Systems (pp. 245–252). New York, NY, USA: ACM.</ref>
তবে, ইউএস ডিপার্টমেন্ট অফ এডুকেশনের ইনস্টিটিউট অব এডুকেশন সায়েন্সেস দ্বারা প্রতিষ্ঠিত একটি সাম্প্রতিক স্বাধীন ও বৃহৎ আকারের গবেষণা ''ক্লিয়ারিংহাউস কী কাজ করে''<ref>What Works Clearinghouse (ED). (2016). Carnegie Learning Curricula and Cognitive Tutor[R]. What Works Clearinghouse Intervention Report. What Works Clearinghouse.</ref> Cognitive Tutor® Algebra I সম্পর্কিত ২২টি গবেষণার মধ্যে ৬টি পর্যালোচনা করে, যেখানে ৮ম থেকে ১৩শ গ্রেড পর্যন্ত ১২,৮৪০ জন শিক্ষার্থীকে অন্তর্ভুক্ত করা হয় ১১৮টি স্থানে। গবেষকরা দেখতে পান, Cognitive Tutor® Algebra I এর অ্যালজেব্রা শেখার ক্ষেত্রে মিশ্র ফলাফল পাওয়া গেছে এবং মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের সাধারণ গণিত দক্ষতার ওপর কোনও উল্লেখযোগ্য বা প্রাসঙ্গিক প্রভাব দেখা যায়নি।
মরগান এবং রিটার,<ref>Morgan, P., & Ritter, S. (2002). An experimental study of the effects of Cognitive Tutor® Algebra I on student knowledge and attitude. Pittsburgh, PA: Carnegie Learning, Inc.</ref> ওকলাহোমার মুর শহরের পাঁচটি ভিন্ন স্কুলে নবম শ্রেণির অ্যালজেব্রা ক্লাসে একটি অভ্যন্তরীণ শিক্ষক-ভিত্তিক পরীক্ষামূলক গবেষণা পরিচালনা করেন। এই গবেষণায় প্রতিটি শিক্ষককে অন্তত একটি Cognitive Tutor® Algebra I ইন্টিগ্রেটেড ক্লাসরুম এবং একটি ঐতিহ্যবাহী ক্লাসরুমের দায়িত্ব দেওয়া হয়। ফলাফল থেকে জানা যায়, যারা Cognitive Tutor® ব্যবহার করে শিখেছিল তারা অন্যান্য শিক্ষার্থীদের তুলনায় ভালো ফল করেছিল এবং গণিত বিষয়ে আরও আত্মবিশ্বাসী ও ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছিল।
কাবালো, জাকিউ এবং ভু<ref>Cabalo, J. V., Jaciw, A., & Vu, M. (2007). Comparative effectiveness of Carnegie Learning’s Cognitive Tutor® Algebra I curriculum: A report of a randomized experiment in the Maui School District. Palo Alto, CA: Empirical Education, Inc.</ref> হাওয়াইয়ের মাউই কাউন্টির পাঁচটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে Cognitive Tutor® Algebra I এর কার্যকারিতা পর্যালোচনার জন্য একটি র্যান্ডমাইজড গবেষণা পরিচালনা করেন। ছয় মাসের ব্যবহারের পর ২০০৫-০৬ শিক্ষাবর্ষের শেষে শিক্ষার্থীদের NWEA বীজগণিত কোর্স সমাপ্তির অর্জন স্তর পরীক্ষা দিতে বলা হয়। ফলাফল থেকে জানা যায়, শিক্ষার্থীরা সাধারণভাবে Cognitive Tutor® সফটওয়্যার সম্পর্কে ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করে এবং সফটওয়্যার ব্যবহার করুক বা না করুক, বেশিরভাগ শিক্ষার্থীর গণিতে উন্নতি দেখা যায়। তবে, যারা আগে দুর্বল ছিল, তারা ব্যবহার শুরু করার পর উল্লেখযোগ্য উন্নতি করে, যা তুলনামূলকভাবে উচ্চ স্কোরধারীদের চেয়ে বেশি ছিল।
ক্যাম্পুজানো, ডিনারস্কি, আগোদিনি এবং রাল<ref>Campuzano, L., Dynarski, M., Agodini, R., & Rall, K. (2009). The effectiveness of reading and mathematics software products: Findings from two student cohorts. Washington, DC: U.S. Department of Education, Institute of Education Sciences.</ref> একটি ২ বছরব্যাপী কংগ্রেস-অনুমোদিত গবেষণা পরিচালনা করেন প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষণপদ্ধতির কার্যকারিতা যাচাইয়ের জন্য, যার দ্বিতীয় বছরে নয়টি দরিদ্র স্কুলে Cognitive Tutor® Algebra I ব্যবহার করা হয়। গবেষকরা র্যান্ডম কন্ট্রোল ট্রায়াল পদ্ধতি গ্রহণ করেন এবং শিক্ষকদের র্যান্ডমভাবে সফটওয়্যার ব্যবহারে অথবা প্রচলিত পাঠ্যক্রমে ভাগ করে দেন। সব শিক্ষার্থীদের শরৎ ও বসন্তকালে ETS End-of-Course পরীক্ষায় অংশ নিতে হয়। দ্বিতীয় বছরে সফটওয়্যার ব্যবহারকারী শিক্ষার্থীরা প্রথম বছরের তুলনায় উল্লেখযোগ্য উন্নতি দেখায়, যদিও পরীক্ষার স্কোরে হস্তক্ষেপকারী ও তুলনামূলক দলের মধ্যে পার্থক্য ছিল সামান্য (p<0.3)।
প্যান, গ্রিফিন, ম্যাককাফ্রে এবং কারাম<ref>Pane, J. F., Griffin, B. A., McCaffrey, D. F., Karam, R., Daugherty, L., & Phillips, A. (2013). Does an algebra course with tutoring software improve student learning?.</ref> Cognitive Tutor® যুক্ত অ্যালজেব্রা পাঠ্যক্রমের কার্যকারিতা নিরীক্ষার জন্য র্যান্ডম কন্ট্রোল ট্রায়াল পদ্ধতি গ্রহণ করেন। গবেষণা দুটি ধারাবাহিক শিক্ষাবর্ষজুড়ে চলে এবং সফটওয়্যারটি সপ্তাহে তিন দিন শিক্ষক-নির্দেশিত ক্লাসে এবং দুই দিন কম্পিউটার-নির্দেশিত ক্লাসে ব্যবহৃত হয়। প্রথম বছর হাইস্কুল শিক্ষার্থীদের মধ্যে হস্তক্ষেপকারী ও তুলনামূলক দলের মধ্যে শিক্ষাগত সাফল্যে তেমন পার্থক্য দেখা যায়নি (p<0.46)। তবে দ্বিতীয় বছরে Cognitive Tutor® ব্যবহারের ইতিবাচক প্রভাবের প্রমাণ শক্তিশালী ছিল (p<0.04), এবং হস্তক্ষেপকারী দলে যেসব শিক্ষার্থীর সাফল্য আগে কম ছিল, তাদের অগ্রগতি বেশি ছিল।
== শব্দকোষ ==
'''অ্যালগরিদম''' হলো গাণিতিক সমস্যার সমাধানে ব্যবহৃত একাধিক ধাপবিশিষ্ট একটি প্রক্রিয়া, যা সঠিকভাবে প্রয়োগ করলে সঠিক সমাধান প্রদান করে।
'''প্রয়োগ''' ঘটে যখন শিক্ষার্থীরা গাণিতিক ধারণার সঙ্গে দৈনন্দিন জীবনের ঘটনার সম্পর্ক স্থাপন করতে পারে।
'''স্পষ্টীকরণ''' ঘটে যখন শিক্ষার্থীরা কোনো সমস্যার বিভিন্ন দিক চিহ্নিত ও বিশ্লেষণ করে, ফলে তারা সমস্যার সমাধানে প্রয়োজনীয় তথ্য ব্যাখ্যা করতে পারে।
'''শ্রেণিবিন্যাস''' হলো একই রকম বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী বস্তুগুলোকে গোষ্ঠীবদ্ধ করার ক্ষমতা।
'''ধারণাগত জ্ঞান''' হলো মানসিক গঠন যা শিক্ষার্থীদের যুক্তি ও গাণিতিক ধারণা বোঝার ভিত্তি তৈরি করে।
'''ঘোষণামূলক জ্ঞান''' হলো সেই গাণিতিক ধারণা যা দীর্ঘমেয়াদি স্মৃতি থেকে আহরণ করা হয় এবং যেগুলো ব্যবহার করে জটিল সমস্যা সমাধান করা যায়।
'''মূল্যায়ন''' ঘটে যখন শিক্ষার্থীরা একটি নির্দিষ্ট মানদণ্ড অনুসারে সমস্যার সমাধানের সঠিকতা নির্ধারণ করতে পারে।
'''অনুমান''' ঘটে যখন শিক্ষার্থীরা সাধারণ ধারণা নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে প্রয়োগ করে এবং বস্তুসমূহের মধ্যে পার্থক্য ও সাদৃশ্য নির্ধারণ করতে পারে।
'''অন্তঃপ্রণোদনা''' হলো এমন একটি অভ্যন্তরীণ ইচ্ছা যা শিক্ষার্থীদের নিজেদের আগ্রহে কোনো কাজ করতে উদ্বুদ্ধ করে।
'''মেটাকগনিটিভ''' হলো নিজের চিন্তা ও শেখার নিয়ন্ত্রণে ব্যবহৃত জ্ঞান।
'''পদ্ধতিগত জ্ঞান''' হলো সমস্যা সমাধানের কৌশলের ধাপসমূহ সম্পর্কে জ্ঞান।
'''ক্রমবিন্যাস''' হলো বস্তুগুলোর আকার অনুযায়ী (যেমন: দৈর্ঘ্য, ওজন, আয়তন) ছোট থেকে বড় বা বড় থেকে ছোটভাবে সাজানোর ক্ষমতা।
'''স্বনিয়ন্ত্রিত শেখা''' হলো নিজের শেখা নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা, শুরু থেকে নিজের পারফরম্যান্স মূল্যায়ন পর্যন্ত।
'''স্বল্পমেয়াদী স্মৃতি''' এমন তথ্য সাময়িকভাবে ধারণ করে যা ব্যবহৃত হবে, তবে তা পরিবর্তিত হবে না।
'''কার্যকরী স্মৃতি''' হলো একটি ব্যবস্থাপনা যা নতুন বা পূর্ববর্তী তথ্যকে অস্থায়ীভাবে ধরে রাখে, যাতে তা বর্তমান কাজে ব্যবহার করা যায়।
== প্রস্তাবিত পাঠ ==
# নবীন শিক্ষকদের গণিতের সমস্যা সমাধানের বিশ্বাস এবং উপলব্ধির একটি কেস স্টাডি। ''Baker, C. K. (২০১৫)। নবীন শিক্ষকদের গণিতের সমস্যা সমাধানের বিশ্বাস এবং উপলব্ধির একটি কেস স্টাডি। গবেষণামূলক অ্যাবস্ট্রাক্ট ইন্টারন্যাশনাল সেকশন এ, ৭৫''
# পাইগেট এবং ভাইগটস্কি: অনেক সাদৃশ্য, এবং একটি গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য। ''Lourenço, O. (২০১২)। পাইগেট এবং ভাইগটস্কি: অনেক সাদৃশ্য, এবং একটি গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য। মনোবিজ্ঞানে নতুন ধারণা, ৩০ (৩), ২৮১-২৯৫। doi:10.1016/j.newideapsych.2011.12.006''
== তথ্যসূত্র ==
* ফুচস, এলএস, ফুচস, ডি, স্টুবিং, কে, ফ্লেচার, জেএম, হ্যামলেট, সিএল, এবং ল্যামবার্ট, ডাব্লু (২০০৮)। সমস্যা সমাধান এবং গণনামূলক দক্ষতা: তারা গাণিতিক জ্ঞানের ভাগ বা স্বতন্ত্র দিক? শিক্ষাগত মনোবিজ্ঞান জার্নাল ১০০ (১), ৩০
* হানিচ, এলবি, জর্ডান, এনসি, কাপলান, ডি, এবং ডিক, জে (২০০১)। "শেখার প্রতিবন্ধী শিশুদের মধ্যে গাণিতিক জ্ঞানের বিভিন্ন ক্ষেত্র জুড়ে পারফরম্যান্স"। শিক্ষাগত মনোবিজ্ঞান জার্নাল, ৯৩, ৬১৫–৬২৬।
* রাউর্ক, বিপি, এবং ফিনলেসন, এমএজে (১৯৭৮)। "একাডেমিক দক্ষতার নিদর্শনগুলোর বিভিন্নতার নিউরোপাইকোলজিকাল তাত্পর্য: মৌখিক এবং ভিজ্যুয়াল-স্থানিক ক্ষমতা"। অস্বাভাবিক শিশু মনোবিজ্ঞান জার্নাল, ৬, ১২১–১৩৩।
* সোয়ানসন, এইচএল, এবং বিবে-ফ্রাঙ্কেনবার্গার, এম (২০০৪)। "গুরুতর গণিতের অসুবিধার ঝুঁকিতে থাকা এবং ঝুঁকিতে থাকা শিশুদের মধ্যে কার্যকর স্মৃতি এবং গাণিতিক সমস্যা সমাধানের মধ্যে সম্পর্ক"। শিক্ষাগত মনোবিজ্ঞান জার্নাল, ৯৬, ৪৭১–৪৯১।
* সোয়ানসন, এইচ এল (২০০৩)। "শেখার অক্ষম এবং দক্ষ পাঠকদের কাজের মেমরিতে বয়স-সম্পর্কিত পার্থক্য"। পরীক্ষামূলক শিশু মনোবিজ্ঞান জার্নাল, ৮৫, ১–৩১।
{{সূত্র তালিকা}}{{সূত্র তালিকা}}
rrifh4owfllz77654s1epk0bv52o54y
84672
84671
2025-06-17T19:24:32Z
NusJaS
8394
84672
wikitext
text/x-wiki
গণিতের বিভিন্ন শাখা রয়েছে যেমন জ্যামিতি, বীজগণিত, ক্যালকুলাস এবং সম্ভাব্যতা; প্রতিটি ক্ষেত্রেই রয়েছে বিশেষ ধরনের ধারণা ও পদ্ধতির দক্ষতা অর্জনের প্রয়োজন। শিক্ষাদান এবং শেখার ক্ষেত্রে যেসব চ্যালেঞ্জ থাকে, তা বোঝা ও অতিক্রম করা যায় জ্ঞানীয় প্রক্রিয়ার বিশ্লেষণের মাধ্যমে। এই অধ্যায়ে আমরা গণিত শিক্ষায় প্রাসঙ্গিক জ্ঞানীয় তত্ত্ব ও গবেষণা পর্যালোচনা করব। আমরা পাইগেটের জ্ঞানীয় বিকাশ তত্ত্বের প্রাসঙ্গিক দিক এবং এই তত্ত্বের সমালোচনা আলোচনা করব। আমরা ব্যাখ্যা করব কীভাবে বিভিন্ন বিষয় একজন শিক্ষার্থীর গণিত শেখার সক্ষমতাকে প্রভাবিত করে এবং কীভাবে শিক্ষকরা পাঠ পরিকল্পনার সময় এই বিষয়গুলো বিবেচনায় নিতে পারেন।
==গণিত কী?==
গণিত হলো সংখ্যা, পরিমাণ, জ্যামিতি ও স্থান এবং এদের পারস্পরিক সম্পর্ক এবং কার্যাবলীর অধ্যয়ন। এটি '''ধারণাগত, প্রক্রিয়াগত এবং ঘোষণামূলক জ্ঞান'''-এর সংমিশ্রণ ব্যবহার করে।<ref>Wong, B., Graham, L., Hoskyn, M., & Berman, J. (Eds.). (2008). ''The ABCs of learning disabilities'' (2nd ed.). Boston: Elsevier Academic Press. </ref> গণিত সমস্যার সফল সমাধানের জন্য শিক্ষার্থীদের এই জ্ঞানসমষ্টি অর্জন করতে হয়। গণিতে সঠিকভাবে সম্পৃক্ত হওয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের আগে ধারণাগত জ্ঞান অর্জন করতে হবে। এজন্য পূর্বে শেখা ধারণাগুলোর প্রয়োগ দরকার হয়। গণিতের ধারণাগত জ্ঞান অন্য সব গণিত-সম্পর্কিত দক্ষতার উন্নয়নে সহায়তা করে যেমন: ইতিবাচক মনোভাব, প্রক্রিয়াগত দক্ষতা, কৌশলগত পারদর্শিতা এবং অভিযোজিত যুক্তিশক্তি। একটির বিকাশ অন্যগুলোকেও শক্তিশালী করে এবং এতে সামগ্রিক জ্ঞান বৃদ্ধি পায়। অর্থাৎ, ধারণাগত জ্ঞান প্রক্রিয়াগত জ্ঞানকে সমৃদ্ধ করে, এবং এই ধারাটি চলতে থাকে।<ref>Bruning, R., Schraw, G., & Norby, M. (2011). ''Cognitive Psychology and Instruction'' (5th ed.). Boston: Pearson Education.</ref> উদাহরণস্বরূপ, গণিতে অনেক ধরনের অ্যালগরিদম রয়েছে যেগুলো শিক্ষার্থীদের জানা প্রয়োজন। যখন শিক্ষার্থীরা গণিতের মূলনীতি ও ধারণাগুলো পরিষ্কারভাবে বুঝতে পারে, তখন তারা যেকোনো সমস্যার জন্য যথাযথ অ্যালগরিদম বেছে নিয়ে তা প্রয়োগ করতে সক্ষম হয়। এটি ধারণাগত ও প্রক্রিয়াগত জ্ঞানের সংযোগ নির্দেশ করে কারণ শিক্ষার্থীরা অনেক কৌশল শিখলেও সঠিকটি বেছে নেওয়া এবং তা প্রয়োগ করাই মূল বিষয়।<ref>Bruning, R., Schraw, G., & Norby, M. (2011). ''Cognitive Psychology and Instruction'' (5th ed.). Boston: Pearson Education.</ref> এছাড়াও, জটিল গণিত সমস্যার সমাধানে কোনো প্রক্রিয়া সফল হলে বা ব্যর্থ হলে শিক্ষার্থীরা প্রায়ই সেখান থেকে আরও শিখতে পারে। ভুলের মাধ্যমে আত্ম-প্রশ্ন করে তারা নিজের বিদ্যমান জ্ঞান পুনর্গঠন করতে পারে এবং ফলে তাদের ধারণাগত জ্ঞান বৃদ্ধি পায়। ঘোষণামূলক জ্ঞান ধারণাগত ও প্রক্রিয়াগত জ্ঞানের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত কারণ এতে শিক্ষার্থীদের দীর্ঘমেয়াদি স্মৃতি থেকে ধারণা (ধারণাগত জ্ঞান) ও নির্দিষ্ট অ্যালগরিদম (প্রক্রিয়াগত জ্ঞান) পুনরুদ্ধার করতে হয়। এই তিনটি ক্ষেত্রের যেকোনো একটির ঘাটতি গণিত শেখায় অসুবিধা সৃষ্টি করতে পারে।<ref>Wong, B., Graham, L., Hoskyn, M., & Berman, J. (Eds.). (2008). ''The ABCs of learning disabilities'' (2nd ed.). Boston: Elsevier Academic Press.</ref> সুতরাং, এই তিন ধরনের জ্ঞানের সংমিশ্রণ একে অপরের সঙ্গে সংযুক্ত থাকায় তা শিক্ষার প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করে।
==জ্ঞানীয় তত্ত্ব এবং গণিত==
===পাইগেটের জ্ঞানীয় বিকাশ তত্ত্ব===
জঁ পাইগেট জন্ম থেকে কৈশোর পর্যন্ত জ্ঞানীয় বিকাশকে চারটি ধাপে ভাগ করেছেন: সংবেদনশীল গতি (জন্ম থেকে ২ বছর), প্রাক-পরিচালন (প্রায় ২ থেকে ৭ বছর), কংক্রিট অপারেশনাল (প্রায় ৭ থেকে ১১ বছর), এবং ফর্মাল অপারেশনাল (প্রায় ১১ থেকে ১৫ বছর)। যদিও সবাই এই ধাপগুলোতে ভিন্নভাবে অগ্রসর হয়, পাইগেট বিশ্বাস করতেন প্রতিটি শিশু পর্যায়ক্রমে প্রতিটি ধাপ অতিক্রম করবে এবং কেউ কোনো ধাপ বাদ দেবে না কারণ পূর্ববর্তী ধাপ না শেখা পর্যন্ত পরবর্তী ধাপে যাওয়া সম্ভব নয়; সময়ের বিষয় মাত্র।<br />
পাইগেট আরও বলেন, শিশুর শেখা মূলত জন্ম থেকে ২ বছর পর্যন্ত চলাফেরা ও পাঁচটি ইন্দ্রিয়ের মাধ্যমে গঠিত হয়। জন্মের কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই শিশু বস্তু অনুসরণ এবং ধরার চেষ্টা শুরু করে, যা চোখ ও চলন সংক্রান্ত মস্তিষ্কের অংশগুলোকে বিকশিত করতে সাহায্য করে। একবার শিশু বুঝে যায় যে শেখা পুনরাবৃত্তির মাধ্যমে হয়, তখন তারা নিজেরা পরিকল্পনা করে কাঙ্ক্ষিত বস্তু পেতে দক্ষ উপায়ে কাজ করে। পাইগেট দাবি করেন যে এই পর্যায়ে শিশুরা সংখ্যাকে বস্তুর সঙ্গে সংযুক্ত করতে পারে<ref>Piaget, J. (1977). Epistemology and psychology of functions. Dordrecht, Netherlands: D. Reidel Publishing Company.</ref> এবং এমনও প্রমাণ আছে যে শিশুরা সংখ্যার ধারণা ও গণনার কিছু ধারণা ইতোমধ্যেই অর্জন করে<ref>Fuson, K. C. (1988). Children’s counting and concepts of numbers. New York: Springer.</ref>। এই পর্যায়ে শিশুদের গণিত দক্ষতা গঠনের জন্য শিক্ষকরা এমন কার্যক্রম দিতে পারেন যাতে সংখ্যা ও গণনা যুক্ত থাকে। যেমন, ছবি যুক্ত বই পড়ানো যেতে পারে। এতে শিশুরা বস্তুর ছবি ও সংশ্লিষ্ট সংখ্যার মধ্যে সম্পর্ক তৈরি করতে শিখবে এবং পড়া ও অনুধাবন ক্ষমতাও বাড়বে। এই সময়ে পাইগেট দেখিয়েছেন যে শিশুরা নিজেরাই বস্তু ও জ্ঞানের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করতে পারে, যা বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশে সহায়তা করে।<ref>Piaget, J. (1963). The origins of intelligence in children. New York, NY: W.W. Norton & Company, Inc.</ref> যেহেতু পাইগেট মনে করতেন, একজন ব্যক্তির আগে অর্জিত জ্ঞানের ওপর ভিত্তি করে পরবর্তী ধাপে যেতে হয়, তাই সংখ্যা সম্পর্কে শিশুদের বোঝাপড়া বাড়ানোর জন্য এমন কার্যক্রমের মাধ্যমে গণিতের ভিত্তি তৈরি করা উচিত যাতে গণনা অন্তর্ভুক্ত থাকে।<br />
প্রায় ২ থেকে ৭ বছর বয়সে শিশুরা ভাষা, প্রতীকী চিন্তা, আত্মকেন্দ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি এবং সীমিত যৌক্তিকতা অর্জন করে। এই সময়ে তারা সংখ্যা বা ব্লকের মতো বস্তুর মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করতে শেখে। যদিও তারা সংখ্যার কিছু ধারণা অর্জন করে, তবে তাদের যৌক্তিক ক্ষমতা সীমিত থাকে এবং তারা বিপরীত ক্রমে কার্য পরিচালনা করতে পারে না। যেমন, যারা বুঝতে পারে ৫+৩ = ৮, তারা বুঝতে নাও পারে ৩+৫ = ৮। পাইগেটের মতে, কারণ তারা কোনো একটি দিক বুঝলে অন্য দিক হারিয়ে ফেলে। এই সময়ে শিক্ষকেরা শিশুদের দিয়ে নির্দিষ্ট গঠন তৈরি করতে পারে ব্লক দিয়ে। এতে তারা একজাতীয় বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে গোষ্ঠীভুক্ত করতে শিখবে এবং বুঝবে একাধিক উপায়ে এটি তৈরি করা যায়।<ref>Thompson, C. S. (1990). Place value and larger numbers. In J. N. Payne (Ed.), Mathematics for young children (pp. 89–108). Reston, VA: National Council of Teachers of Mathematics.</ref> <br />
৭ থেকে ১১ বছর বয়সে শিশুরা জ্ঞানীয়ভাবে দ্রুত বিকশিত হয়। তারা একাধিক দিক বা মাত্রা বুঝতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, পাইগেট একটি পরীক্ষায় একই পরিমাণ তরলকে ভিন্ন আকারের বোতলে ঢেলে দেখিয়েছিলেন — এই পর্যায়ের শিশুরা বুঝতে পারে তরলের উচ্চতা কেন পরিবর্তন হয়। এই সময়ে ‘শ্রেণিবিন্যাস’ ও ‘সিরিয়েশন’-এর দক্ষতা গড়ে ওঠে<ref>Piaget, J. (1977). Epistemology and psychology of functions. Dordrecht, Netherlands: D. Reidel Publishing Company.</ref>। তারা একজাতীয় বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে বস্তু শ্রেণিবদ্ধ করতে শেখে এবং বৃদ্ধিপ্রাপ্ত বা হ্রাসপ্রাপ্ত মান অনুযায়ী সাজাতে শেখে। যদিও এই পর্যায়ে তারা মৌলিক গণনাগুলো জানতে পারে, তবে বাস্তব সমস্যায় তা প্রয়োগ করতে পারে না। যেমন, ৩টি সারিতে ৫টি ব্লক দিয়ে তৈরি গঠনের সংখ্যা গণনা করতে বললে, তারা গুণের ধারণা ব্যবহার করে না। অর্থাৎ, এই সময়ে তাদের গাণিতিক ধারণাগুলো বাস্তব বস্তুর সঙ্গে সংযুক্ত থাকতে হয়। তারা এখনো পরিমাপের উপর ভিত্তি করে সুনির্দিষ্ট পদ্ধতি তৈরি করতে সক্ষম নয়।<br />
১১ থেকে ১৫ বছর বয়সে শিশুরা নিজেরাই তত্ত্ব তৈরি করতে এবং গণিতের ধারণা গঠন করতে পারে। তারা বিমূর্ত ধারণাকে বাস্তব পরিস্থিতির সঙ্গে মিলিয়ে নিতে পারে। যেমন, তারা এখন অ্যালজেব্রার একটি সমস্যা নিজে নিজে সমাধান করতে পারে, যেখানে আগে শিক্ষককে বাস্তব উদাহরণ দিতে হতো। তারা কারণ নির্ণয়, ব্যাখ্যা, বিশ্লেষণ এবং প্রয়োগ করতে শেখে। শিক্ষকেরা তাদের শেখাতে পারেন কীভাবে শব্দের সমস্যা বিশ্লেষণ করতে হয় এবং কোন তথ্য প্রাসঙ্গিক আর কোনটা নয় তা বোঝাতে হয়।<br />
পাইগেট মনে করতেন, যদি কোনো শিশু কোনো ধারণা বুঝতে ব্যর্থ হয়, তবে সেটির কারণ হচ্ছে সমস্যা থেকে সরাসরি গাণিতিক রূপান্তরে যাওয়ার চেষ্টা। তার মতে, শিশুদের শেখাতে হলে এমন পদ্ধতি নিতে হবে যা তাদের নিজে আবিষ্কার করতে উৎসাহ দেয়, যাতে তারা নিজেরাই ধারণা গড়ে তুলতে পারে, পরিবর্তে শিক্ষক তাদের সরাসরি উত্তর না দিয়ে। <ref>Piaget, J. (1968). Genetic epistemology. New York, NY: Columbia University Press Retrieved June 13, 2003 from the World Wide Web: http://www.marxists.org/reference/subject/philosophy/works/fr/piaget.htm</ref>
=== পাইগেট তত্ত্বের সমালোচনা ===
{| class="wikitable"
!পাইগেটের জ্ঞানীয় বিকাশের বিশ্বাস
!সমালোচনা
|-
|১) শিশুরা বস্তুর স্থায়িত্ব বোঝার বিকাশ শুরু করে
|
* পাইগেট শিশুদের অনুপ্রেরণার প্রয়োজনীয়তা উপেক্ষা করেছিলেন
* শিশুদের স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়
|-
|২) শিশুদের সংবেদনশীল ক্ষমতা এবং জ্ঞানীয় বিকাশ তাদের জন্মের প্রথম ৬ মাসের মধ্যে ঘটে
|
* সমস্ত শিক্ষার্থী একই নয়, তাদের অনন্য দক্ষতার ভিত্তিতে তাদের উচ্চতর বা নিম্ন বিভাগে স্থাপন করা যেতে পারে
|-
|৩) প্রতিটি শিশু একটি নির্দিষ্ট ক্রমে চারটি পর্যায়ের অভিজ্ঞতা অর্জন করবে
|
* পাইগেট বংশগতি, সংস্কৃতি এবং শিক্ষার মতো বাহ্যিক কারণগুলোকে অবহেলা করেছিলেন
|-
|৪) পাইগেট জ্ঞানীয় বিকাশকে নির্দিষ্ট পর্যায়ে পৃথক করে
|
* জ্ঞানীয় বিকাশের পর্যায়গুলো ধীরে ধীরে এবং ক্রমাগত অগ্রগতি হিসাবে দেখা উচিত
|}
যদিও আধুনিককালে শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের জ্ঞানীয় বিকাশ পর্যবেক্ষণের জন্য পাইগেটের তত্ত্ব ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়, তবুও এ নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। অনেক শিক্ষাবিদ পাইগেটের তত্ত্বের উপর নির্ভর করে শিক্ষার্থীদের গাণিতিক শিক্ষার উপযুক্ততা পরিমাপ করেন। অন্যদিকে, হিবার্ট ও কার্পেন্টার মত দিয়েছেন যে, পাইগেটের তত্ত্ব তেমন কার্যকর নির্দেশনা নয়, কারণ বহু গবেষণায় প্রমাণ হয়েছে যে, অনেক শিশু যারা পাইগেটের তত্ত্ব অনুসরণ করতে পারে না, তারাও গাণিতিক ধারণা ও দক্ষতা অর্জনে সক্ষম।<ref>Hiebert, J., and T. P. Carpenter. "Piagetian Tasks as Readiness Measures in Mathematics Instruction: A CriticalReview." EDUCATIONAL STUDIES IN MATHEMATICS 13: 329-345, 1982</ref>
পাইগেট যেখানে শিশুর অভ্যন্তরীণ জ্ঞান অনুসন্ধানের উপর গুরুত্ব দেন এবং বিশ্বাস করতেন যে, জন্ম থেকে দুই বছর পর্যন্ত শিশু বস্তু স্থায়ীত্ব (যেমন: লুকানো বস্তু খোঁজার ধারণা) শেখে, অন্য গবেষকরা বলেন, পাইগেট শিশুদের প্রেরণার প্রয়োজনীয়তাকে অবহেলা করেছেন। বার্গার মনে করেন বাহ্যিক প্রেরণা ও শিক্ষাও গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলে।<ref>Berger, K.S. (1988). The developing person through the life span (2nd ed.). New York: Worth Publishers Ltd.</ref>
ক্যাগান বিশ্বাস করেন, শিশু যখন স্থান পরিবর্তনের পরও বস্তু স্পর্শ করতে পারে, এর পেছনের কারণ তাদের মস্তিষ্কের স্মৃতি ধারণক্ষমতার বৃদ্ধি, পাইগেটের ধারণার মতো নতুন কোনো জ্ঞানীয় গঠনের কারণে নয়।<ref>Berger, K.S. (1988). The developing person through the life span (2nd ed.). New York: Worth Publishers Ltd.</ref>
পাইগেটকে সমালোচনা করা হয়েছে শিশুদের সামর্থ্য নিয়ে অতিরিক্ত সাধারণায়নের জন্য। তিনি সিদ্ধান্তে এসেছিলেন, শিশুর সংবেদনশীলতা ও জ্ঞানীয় বিকাশ জন্মের প্রথম ছয় মাসেই ঘটে। যদিও পাইগেট বিশ্বাস করতেন, প্রতিটি শিশু নির্দিষ্ট ধাপে নির্দিষ্ট ক্রমে অগ্রসর হয়, হেউভেল-পানহুইজে বলেন, পাইগেটের তত্ত্ব ছোট শিশুদের সামর্থ্যকে অবমূল্যায়ন করে। উদাহরণস্বরূপ, তিনি দেখান যে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষকেরা যদি শুধুমাত্র পাইগেটের ধাপভিত্তিক তত্ত্বে বিশ্বাস করেন, তবে তারা শিশুদের প্রতীকের জ্ঞান, গণনার ক্রম ও গাণিতিক ক্রিয়ার সামর্থ্য সম্পর্কে ভুল ধারণা পোষণ করতে পারেন।<ref>Cross, C. (2009). The Early Childhood Workforce and Its Professional Development. In Mathematics learning in early childhood paths toward excellence and equity. Washington, DC: National Academies Press.</ref>
বার্গার আরও বলেন, শিশুদের পার্সেপচুয়াল শেখা (ধারণাগত শেখা) জন্মের আগেই শুরু হতে পারে।<ref>Berger, K.S. (1988). The developing person through the life span (2nd ed.). New York: Worth Publishers Ltd.</ref> যদিও একটি নির্দিষ্ট বয়স অনুযায়ী একটি শিশু নির্দিষ্ট ধাপে থাকবে, তবুও সব শিক্ষার্থী একরকম নয়। তাদের স্বতন্ত্র দক্ষতার ভিত্তিতে তারা হয়তো কোনো উচ্চতর বা নিম্নতর ধাপে অবস্থান করতে পারে।
উদাহরণস্বরূপ, গেলম্যান ও গ্যালিস্টেল দেখান যে, প্রিপারেশনাল ধাপে থাকা শিশুরাও বস্তু গণনার ক্ষেত্রে বিমূর্ত চিন্তা করতে পারে। এছাড়াও, পাইগেট শিশুদের আবেগ ও ব্যক্তিত্ব বিকাশ নিয়ে স্পষ্ট কোনো ধারণা দেননি। যদিও তিনি বুদ্ধিমত্তা ও স্মৃতিশক্তির বিকাশ মাপার কার্যকর পদ্ধতি ব্যাখ্যা করেছেন, তিনি সৃজনশীলতা ও সামাজিক যোগাযোগের গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো উপেক্ষা করেছেন।<ref>Papalia, D. E., Olds, S. W., and Feldman, R. D. (1998). Human development(7th ed.). Boston: McGraw-Hill.</ref>
ক্রিস্টিনা এর্নেলিং যুক্তি দেন যে, উন্নয়নের ধারা বোঝা সম্ভব যদি শিশুদের সঠিক পরিবেশে রাখা যায়। তার মতে, যেকোনো শেখার ধারণা বিশদ শিক্ষাতত্ত্বের উপর ভিত্তি করে হতে হবে এবং জ্ঞানীয় বিকাশ বোঝার জন্য ব্যক্তির সামাজিক ও সাংস্কৃতিক পটভূমির ভিন্নতা স্বীকৃতি দিতে হবে। অর্থাৎ, পাইগেট সংস্কৃতির প্রভাব উপেক্ষা করেছেন। কারণ তার গবেষণা ছিল পশ্চিমা দেশে, তাই তার তত্ত্ব হয়তো শুধু পশ্চিমা সমাজ ও সংস্কৃতিকে প্রতিনিধিত্ব করে।
পাইগেটের মতে, বৈজ্ঞানিক চিন্তা ও আনুষ্ঠানিক চিন্তাশক্তি নির্দিষ্ট ধাপে পৌঁছেই বিকাশ পায়। অন্যদিকে, এডওয়ার্ডস ও অন্যান্য গবেষকরা বলেন, পাইগেটের গবেষণায় নিয়ন্ত্রণ ও নমুনার সীমাবদ্ধতার কারণে তার গবেষণা অবিশ্বস্ত। তারা বলেন, অন্যান্য সংস্কৃতিতে সাধারণ ধাপের অপারেশনগুলো বেশি গুরুত্ব পেতে পারে।<ref>Edwards, L., Hopgood, J., Rosenberg, K., & Rush, K. (2000). Mental Development and Education. Retrieved April 25, 2009, from Flinders University</ref>
বার্গার পাইগেটের নির্দিষ্ট ধাপের বিপক্ষে যুক্তি দেন। তিনি মনে করেন, পাইগেট শিশুদের অভ্যন্তরীণ জ্ঞানের সন্ধানকে গুরুত্ব দিলেও, বংশগতি, সংস্কৃতি ও শিক্ষার মতো বাহ্যিক বিষয়গুলো উপেক্ষা করেছেন। তিনি বলেন, পাইগেটের জ্ঞানীয় বিকাশের ধাপগুলোকে বরং একটানা ধাপে ধাপে অগ্রগতির মতো দেখা উচিত, নির্দিষ্ট করে ভাগ না করে।<ref>Berger, K.S. (1988). The developing person through the life span (2nd ed.). New York: Worth Publishers Ltd.</ref>
পাইগেটের তত্ত্বের আরও সমালোচনা হয়েছে, কারণ তার সর্বশেষ ধাপে জ্ঞানীয় বিকাশ যথেষ্ট স্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করা হয়নি। তিনি মনে করতেন, ১১ থেকে ১৫ বছর বয়সের মধ্যে সবাই বিমূর্ত যুক্তি বিকাশে সক্ষম হয়। অন্যদিকে, প্যাপালিয়া ও অন্যান্যরা বিশ্বাস করেন, সবাই এই সময়ে আনুষ্ঠানিক চিন্তাশক্তি অর্জন করতে পারে না, এবং তাতে তারা অপরিণত নয়—বরং তাদের চিন্তাভাবনার পরিপক্বতার ধরণ ভিন্ন।<ref>Papalia, D.E., Olds, S.W., & Feldman, R.D. (1998). Human development (7th ed.). Boston: McGraw-Hill.</ref>
অতএব, জ্ঞানীয় বিকাশকে বরং একটি অনিয়মিত প্রক্রিয়া হিসেবে বিবেচনা করা উচিত, যেখানে প্রতিটি শিশু ধাপে ধাপে নিজস্ব গুণাবলি ও আচরণগত দক্ষতা অর্জন করে।<ref>Berger, K.S. (1988). The developing person through the life span (2nd ed.). New York: Worth Publishers Ltd.</ref>
=== জ্ঞানীয় ক্ষেত্র= ===
পাইগেটের পর থেকে জ্ঞানীয় তত্ত্ব ও গাণিতিক শিক্ষার মধ্যে সম্পর্ক অনেকদূর এগিয়েছে। অসংখ্য গবেষণায় দেখা গেছে, বিভিন্ন জ্ঞানীয় দক্ষতা ও গাণিতিক দক্ষতার মধ্যে সম্পর্ক রয়েছে। ১৯৭৮ সালেই গবেষকেরা মস্তিষ্ক-সম্পর্কিত আচরণ ও একাডেমিক দক্ষতার মধ্যে সম্পর্ক খুঁজে পান। রাউর্ক ও ফিনলেসন ৯-১৪ বছর বয়সী শেখার অসুবিধায় ভোগা শিশুদের নিয়ে গবেষণা করে দেখান, যেসব শিশুর অ্যারিথমেটিক দক্ষতা নেই, তাদের ডান মস্তিষ্কের গোলার অকার্যকারিতার মতো আচরণ দেখা যায়।<ref>Rourke, B. P., & Finlayson, M. A. J. (1978). Neuropsychological significance of variations in patterns of academic skills: Verbal and visual-spatial abilities. Journal of Abnormal Child Psychology, 6, 121–133.</ref>
সম্প্রতিকালে আরও সূক্ষ্ম জ্ঞানীয় দক্ষতা ও গণিতে ঘাটতির মধ্যকার সম্পর্ক চিহ্নিত হয়েছে।
২০০১ সালে হ্যানিচ, জর্ডান, কাপলান ও ডিক ২য় শ্রেণির শিক্ষার্থীদের গাণিতিক পারফরম্যান্স বিশ্লেষণ করেন।<ref>Hanich, L. B., Jordan, N. C., Kaplan, D., & Dick, J. (2001) Performance across different areas of mathematical cognition in children with learning disabilities. Journal of Educational Psychology, 93, 615–626.</ref>
তারা শিক্ষার্থীদের চারটি দলে ভাগ করেন: সাধারণভাবে সফল শিক্ষার্থী, শুধুমাত্র গণিতে দুর্বল, শুধুমাত্র পড়ায় দুর্বল, এবং উভয় বিষয়ে দুর্বল। প্রত্যেককে সাতটি গাণিতিক পরীক্ষায় অংশ নিতে বলা হয়:
ক) নির্দিষ্ট গণনা খ) গল্পভিত্তিক সমস্যা গ) আনুমানিক গণনা ঘ) স্থানীয় মান ঙ) গণনার নীতি চ) সংখ্যা স্মরণ ছ) লিখিত গণনা।
তারা দেখেন, যারা গণনা ও পড়া উভয় ক্ষেত্রেই দুর্বল, তারা গল্প সমস্যা ও প্রচলিত গণনায় দুর্বল। তবে যারা শুধু গণিতে দুর্বল, তারা শুধু প্রচলিত গণনায় দুর্বলতা দেখায়। এ থেকে গবেষকেরা সিদ্ধান্তে আসেন, গণিতে একাধিক জ্ঞানীয় ক্ষেত্র রয়েছে এবং প্রতিটি ক্ষেত্র মস্তিষ্কের ভিন্ন প্রক্রিয়া ব্যবহার করে।
ফুচস, ফুচস, স্টুয়েবিং, ফ্লেচার, হ্যামলেট ও ল্যাম্বার্ট (২০০৮) লক্ষ্য করেন, প্রচলিত গণনার সফলতা নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ কিছু পূর্বাভাসদাতা হচ্ছে: ক) কর্মরত স্মৃতি খ) দৃশ্য-স্থানিক কর্মরত স্মৃতি গ) মনোযোগ রেটিং ঘ) ধ্বনিতাত্ত্বিক প্রক্রিয়াকরণ ঙ) শব্দভাণ্ডারের জ্ঞান<ref>Fuchs, L. S., Fuchs, D., Stuebing, K., Fletcher, J.M., Hamlett, C. L. , & Lambert, W. (2008). Problem solving and computational skill: Are they shared or distinct aspects of mathematical cognition? Journal of Educational Psychology 100 (1), 30</ref>
তারা এক দীর্ঘমেয়াদি, বৃহৎ পরিসরের গবেষণায় দেখেন, গণনা ও সমস্যার সমাধান—এই দুইটি গণিতের আলাদা ক্ষেত্র হতে পারে। তারা শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করেন: গণনায় দক্ষতা, শব্দ-সমস্যা সমাধান, ধ্বনি প্রক্রিয়া, অ-মৌখিক সমস্যা সমাধান, কর্মরত স্মৃতি, মনোযোগী আচরণ, প্রক্রিয়ার গতি, এবং পাঠ দক্ষতা ইত্যাদিতে। তারা দেখতে পান, মনোযোগী আচরণ ও প্রক্রিয়ার গতি গণনার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখে।
এছাড়াও, তারা লক্ষ্য করেন, কর্মরত স্মৃতি, স্বল্পমেয়াদি স্মৃতি, অ-মৌখিক সমস্যা সমাধান (যেমন দৃশ্যের মাধ্যমে প্যাটার্ন সম্পূর্ণ করা), ধারণা গঠন, এবং ভাষা দক্ষতা (যার মধ্যে পড়াও অন্তর্ভুক্ত) সমস্যা সমাধানের পূর্বাভাসদাতা। ভাষা দক্ষতার ঘাটতি সমস্যার সমাধানে দুর্বল শিক্ষার্থীদের মধ্যে পার্থক্যকারী একটি উপাদান।
==== প্রত্যেক জ্ঞানীয় গণিত ক্ষেত্রের জন্য মস্তিষ্কের প্রক্রিয়া ====
{| class="wikitable"
!গণনার জ্ঞানীয় দক্ষতা
!সমস্যা সমাধানের জ্ঞানীয় দক্ষতা
|-
|গণনার সফলতার পূর্বাভাসদাতা:
|সমস্যা সমাধানের সফলতার পূর্বাভাসদাতা:
|-
|• কর্মরত স্মৃতি
# শ্রবণক্ষম কর্মরত স্মৃতি
# দৃশ্য-স্থানিক কর্মরত স্মৃতি
• মনোযোগ রেটিং • প্রক্রিয়ার গতি • ভাষা দক্ষতা
# ধ্বনিতাত্ত্বিক প্রক্রিয়াকরণ (ধ্বনি শনাক্ত ও পার্থক্য করতে পারা)
# শব্দভাণ্ডার জ্ঞান
|• কর্মরত স্মৃতি
# শ্রবণক্ষম কর্মরত স্মৃতি
• স্বল্পমেয়াদি স্মৃতি • অ-মৌখিক সমস্যা সমাধান (দৃশ্যমান প্যাটার্ন সম্পূর্ণ করার দক্ষতা) • ধারণা গঠন • ভাষা দক্ষতা
# প্রথম ভাষা, সাংস্কৃতিক পার্থক্য
# ধ্বনি, শব্দভাণ্ডার
|}
=== গণিত শেখার ক্ষেত্রে কার্যকর স্মৃতির গুরুত্ব ===
'''কার্যকর স্মৃতি''' হলো একটি প্রক্রিয়া যা অস্থায়ীভাবে নতুন বা পূর্বে সঞ্চিত তথ্য ধারণ করে, যা বর্তমান কোনো কাজ সম্পন্ন করার জন্য ব্যবহৃত হয়। এর ধারণক্ষমতা সীমিত। কার্যকর স্মৃতির দুটি ধরণ রয়েছে: শ্রাব্য (auditory) স্মৃতি ও দৃশ্য-স্থানিক (visual-spatial) স্মৃতি। গণিতের গাণিতিক সমস্যার সমাধানের ক্ষেত্রে দৃশ্য-স্থানিক স্মৃতি গুরুত্বপূর্ণ বলে প্রমাণিত হয়েছে। অপরদিকে, শ্রাব্য স্মৃতি সব ধরনের গাণিতিক ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। ব্যক্তিভেদে কার্যকর স্মৃতির ধারণক্ষমতার পার্থক্য হতে পারে তথ্য প্রক্রিয়াকরণের গতি, ব্যক্তির জ্ঞান বা অপ্রাসঙ্গিক তথ্য উপেক্ষা করার দক্ষতার কারণে।<ref>Swanson, H. L., & Beebe-Frankenberger, M. (2004)...</ref> পরিকল্পনা, সংগঠন এবং নমনীয় চিন্তার মতো নির্বাহী কার্যক্রমগুলো কার্যকর স্মৃতিকে প্রভাবিত করতে পারে।<ref>Swanson, H. L. (2003)...</ref>
অন্যদিকে, '''স্বল্পমেয়াদী স্মৃতি''' দায়ী শুধুমাত্র অল্প সময়ের জন্য তথ্য ধারণ করার জন্য, যেগুলো ব্যবহার করতে হবে কিন্তু বিশ্লেষণ বা রূপান্তরের প্রয়োজন নেই। এর ধারণক্ষমতাও সীমিত এবং এটি কয়েক সেকেন্ডের মতোই স্থায়ী হতে পারে। যেমন, একটি টেলিফোন নম্বর আমরা কয়েক সেকেন্ড মনে রাখি শুধু তা ডায়াল করার জন্য।
২০০৪ সালে সোয়ানসন এবং বিবে-ফ্রাঙ্কেনবার্গারর একটি গবেষণায় উপসংহারে পৌঁছেছেন যে, কার্যকর স্মৃতি সমস্যার সমাধানকালে তথ্য একীভূতকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাদের মতে, কার্যকর স্মৃতি গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি "(ক) সম্প্রতি প্রক্রিয়াকৃত তথ্যকে নতুন ইনপুটের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করে এবং (খ) সামগ্রিকভাবে সমস্যার একটি উপস্থাপন গঠনের জন্য তথ্যের সারাংশ সংরক্ষণ করে।"<ref>Swanson, H. L., & Beebe-Frankenberger, M. (2004)...</ref>
এইচ লি সোয়ানসনের সাম্প্রতিক একটি গবেষণায় দেখা গেছে, কার্যকর স্মৃতির ধারণক্ষমতা সমস্যা সমাধানে কৌশলগত হস্তক্ষেপের প্রভাবকে নিয়ন্ত্রণ করে।<ref>Swanson, H. L. (August 4,2015)...</ref> লেখক একটি হস্তক্ষেপমূলক গবেষণা পরিচালনা করেন, যেখানে কার্যকর স্মৃতির ভূমিকা এবং কৌশল শেখানোর ফলে শব্দভিত্তিক সমস্যা সমাধানে সঠিকতা কেমন হয়, তা যাচাই করা হয়।
গবেষণায় সমস্ত শিশুদের শ্রাব্য ও দৃশ্য-স্থানিক কার্যকর স্মৃতির মাপ নেওয়া হয়। এরপর গণিতে সমস্যাযুক্ত এবং অপ্রতিবন্ধিত শিশুদের তিনটি গ্রুপে ভাগ করে র্যান্ডমাইজড কন্ট্রোল ট্রায়াল করা হয়। ১ম দলকে শব্দভিত্তিক কৌশল শেখানো হয়, ২য় দলকে দৃশ্য-স্থানিক কৌশল, এবং ৩য় দলকে উভয় কৌশলের সংমিশ্রণ শেখানো হয়। প্রতিটি দলকে এমন পাঠদান দেওয়া হয় যাতে শব্দ সমস্যা ক্রমাগত অপ্রাসঙ্গিক তথ্যে পরিপূর্ণ হতে থাকে। এই কৌশলের উদ্দেশ্য ছিল শিশুদের প্রাসঙ্গিক তথ্যের প্রতি মনোযোগী হতে শেখানো। পূর্ববর্তী অনেক গবেষণায় দেখা গেছে যে, প্রাসঙ্গিক ও অপ্রাসঙ্গিক তথ্য আলাদা করতে শেখা গণিত সমস্যার সঠিকতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ।
গবেষণার ফলাফল দেখায় যে, কৌশল শেখানো সমস্যা সমাধানে সাহায্য করে। তবে এটি মনে রাখা জরুরি যে, ব্যক্তিভেদে কার্যকর স্মৃতির ক্ষমতা কৌশল শেখানোর প্রভাবকে নিয়ন্ত্রণ করে। কম কার্যকর স্মৃতির শিশুরা তেমন উপকার পায়নি। বরং উচ্চ কার্যকর স্মৃতির শিশুরাই—যাঁদের গণিতে প্রতিবন্ধকতা থাকুক বা না থাকুক—এই কৌশল থেকে বেশি উপকার পেয়েছে। তবে, দৃশ্যগত কৌশল ব্যবহৃত হলে সব ধরনের গণিত প্রতিবন্ধী শিশুরাই উপকার পেয়েছে। কিন্তু যাঁদের কার্যকর স্মৃতি দুর্বল, তাঁদের জন্য শব্দ ও দৃশ্য উভয় কৌশলের সংমিশ্রণ প্রয়োজন। সবশেষে, গবেষণার ফলাফলে বলা হয়েছে যে, কার্যকর স্মৃতির উপর ভিত্তি করে মনোযোগ নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কিত প্রক্রিয়াগুলোর প্রশিক্ষণ ভবিষ্যতে কার্যকর স্মৃতির দক্ষতা উন্নত করতে পারে।
এই গবেষণার তাৎপর্য হলো, গণিতে প্রতিবন্ধকতাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের কার্যকর স্মৃতির ক্ষমতা যাচাই করে তার ভিত্তিতে উপযুক্ত শিক্ষণ কৌশল নির্ধারণ করা উচিত।
== গণিত শেখা ও শেখানোর ওপর প্রভাব ফেলা উপাদান ==
=== ব্যক্তিভেদে পার্থক্য ===
প্রত্যেক শিক্ষার্থীর আলাদা দক্ষতা, পূর্বজ্ঞান, সংস্কৃতি এবং আগ্রহ থাকে। এই বিষয়গুলো গণিত শেখা ও শেখানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ কারণ পাঠদানের কৌশলগুলো শিক্ষার্থীদের অনুযায়ী পরিবর্তন করতে হয়।
==== দক্ষতার পার্থক্য ====
সব শিক্ষার্থীর নিজস্ব শক্তি ও দুর্বলতা থাকে। কেউ কোনো নির্দিষ্ট গাণিতিক ক্ষেত্রে ভালো হলেও, অন্য ক্ষেত্রে দুর্বল হতে পারে। শিক্ষকের উচিত শিক্ষার্থীদের দক্ষতা সম্পর্কে জানা, যাতে তাদের শক্তিকে কাজে লাগিয়ে দুর্বলতাকে উন্নত করা যায়। যদি শিক্ষক শিক্ষার্থীদের দক্ষতা ও দুর্বলতা না জানেন, তবে ভুলভাবে চ্যালেঞ্জ তৈরি হতে পারে, যেটা শিক্ষার্থীর আত্মবিশ্বাস কমিয়ে দিতে পারে এবং ব্যর্থতা থেকে "শিক্ষিত অসহায়ত্ব" তৈরি করতে পারে। সঠিক দক্ষতা জানা থাকলে নতুন গাণিতিক জ্ঞান অর্জনে শিক্ষার্থীদের অসুবিধা হবে না।
উদাহরণস্বরূপ, শব্দ সমস্যা সমাধানের জন্য প্রয়োজন মানসিক উপস্থাপনা ও সাধারণ গাণিতিক রূপান্তর। ফলে, যারা গাণিতিক সমীকরণ গঠন করতে জানে না, তারা এই সমস্যা সমাধানে ব্যর্থ হবে।<ref>Wong, B., Graham, L., Hoskyn, M., & Berman, J. (Eds.). (2008)...</ref> শিক্ষকের উচিত শিক্ষার্থীদের প্রাক-দক্ষতার ওপর ভিত্তি করে পাঠদান কৌশল নির্ধারণ করা, কারণ এই দক্ষতাগুলো সমস্যার সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। শিক্ষার্থীরা যত বেশি ধারণাগত ও প্রক্রিয়াগত দক্ষতা অর্জন করবে, ততই তারা গণিত শেখায় দক্ষ হয়ে উঠবে।<ref>Bruning, R., Schraw, G., & Norby, M. (2011)...</ref>
বর্তমান হাইস্কুলে বিভিন্ন স্তরের গণিত কোর্স থাকে—শুরুর, মূল এবং উন্নত স্তর। শিক্ষার্থীদের নিজস্ব দক্ষতার ভিত্তিতে বিভাগ করা হয় বা তারা নিজেরা স্তর বেছে নিতে পারে। শিক্ষককে উচিত শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা যে তারা সেই স্তরের উপযোগী কিনা। খুব কঠিন হলে শিক্ষার্থী ক্লান্ত হয়ে পড়বে, আবার খুব সহজ হলে বিরক্ত হবে। সঠিক স্তর নির্ধারণের জন্য দক্ষতা জানা আবশ্যক।
==== পূর্বজ্ঞানগত পার্থক্য ====
শিক্ষার্থীদের গাণিতিক জ্ঞান তাদের সামাজিক অভিজ্ঞতা থেকে আসে। বাস্তব জীবনের অভিজ্ঞতা যেমন বাজারে কেনাকাটা করার মাধ্যমে টাকা-পয়সা মেলানো শেখা, গাণিতিক প্রতীক কীভাবে ব্যবহার হয়, সেটা বুঝতে সাহায্য করে। এই বাস্তব জ্ঞান ব্যবহার করে যদি গাণিতিক ধারণা শেখানো হয়, তাহলে শিক্ষার্থীরা সহজে তা বুঝতে পারে।<ref>Wong, B., Graham, L., Hoskyn, M., & Berman, J. (Eds.). (2008)...</ref> বাস্তব পরিস্থিতির সঙ্গে মিল থাকলে শিক্ষার্থীরা গণিত শেখায় বেশি আগ্রহী হয়, কারণ এটি তাদের কাছে অর্থবহ ও প্রাসঙ্গিক মনে হয়। উদাহরণস্বরূপ, পাঠ্যবইয়ের গণিত অনেক শিক্ষার্থীর কাছে বিরক্তিকর মনে হতে পারে, কিন্তু যদি তা ব্যাংকে সুদের হিসাব বা দৈনন্দিন খরচ হিসাবের মতো জীবনের সঙ্গে মেলানো হয়, তাহলে তা সহজ ও আকর্ষণীয় মনে হয়।
গুরুত্বপূর্ণ গণিত সমস্যার জন্য শুধু গণিত নয়, পদার্থবিদ্যা বা রসায়নের মতো বিষয়ের জ্ঞানও প্রয়োজন হতে পারে।<ref>Bruning, R., Schraw, G., & Norby, M. (2011)...</ref> শব্দ সমস্যার ক্ষেত্রে পাঠ্যাংশ বুঝতে ভাষাগত দক্ষতাও প্রয়োজন, যা পূর্বজ্ঞান থেকে আসে। বিশ্ববিদ্যালয় স্তরের অনেক গণিত কোর্সে পূর্বশর্ত কোর্স থাকে, কারণ উন্নত গণিত শেখার জন্য প্রাথমিক ধারণা থাকা আবশ্যক।
==== আগ্রহের পার্থক্য ====
সবার আগ্রহ আলাদা। কেউ গণিত পছন্দ করে কারণ ছোটবেলা থেকেই তারা এই বিষয়ে শক্তিশালী ছিল, আবার কেউ ঘৃণা করে কারণ বারবার ব্যর্থ হয়েছে। আগ্রহ থাকলে অভ্যন্তরীণ মোটিভেশন তৈরি হয় এবং শিক্ষার্থী নিজের ইচ্ছায় গণিত শেখে।<ref>Bruning, R., Schraw, G., & Norby, M. (2011)...</ref> এতে শিক্ষার্থীরা কাজের প্রতি মনোযোগী হয় এবং সমাধানে আন্তরিকতা দেখায়। তাদের আগ্রহ নিজের সামর্থ্য, আত্মবিশ্বাস এবং অর্জনের সঙ্গে জড়িত।<ref>Upadyaya, K., & Jacquelynne, S. E. (2014). How do Teachers’ Beliefs predict Children’s Interests in Math from Kindergarten to Sixth Grade? ''Merrill-Palmer Quarterly, 60''(4). Retrieved from http://web.b.ebscohost.com.proxy.lib.sfu.ca/ehost/pdfviewer/pdfviewer?sid=aaa92fa2-22f8-4cd7-9d94-49896f602e89%40sessionmgr120&vid=0&hid=109</ref>
তাই, শিক্ষার্থীদের একাডেমিক সাফল্য বাড়ানোর জন্য তাদের মধ্যে গণিতের প্রতি আগ্রহ তৈরি করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রকৃতপক্ষে, পরিবারের সদস্য, সহপাঠী এবং শিক্ষকসহ অনেক উপায়ে গণিতের প্রতি আগ্রহ বাড়ানো যায়।<ref>Frenzel, A.C., Goets T., Pekrun R., & Watt, H.M.G. (2010). Development of Mathematics Interest in Adolescence: Influences of Gender, Family and School Context. ''Journal of Research on Adolescence, 20''(2), 507-537. doi:10.1111/j.1532-7795.2010.00645.x</ref>
পরিবারের সদস্যরা ঘরে বসেই শিক্ষার্থীদের গণিতে সহায়তা ও উৎসাহ দিতে পারেন, যা গণিতের প্রতি তাদের মূল্যবোধ বাড়ায়। শিক্ষার্থীরা সাধারণত সামাজিক তুলনা করতে ভালোবাসে এবং তারা সহপাঠীদের অনুসরণ করতে চায়। তাই সহপাঠীদের প্রভাব শিক্ষার্থীদের ওপর বড় ভূমিকা রাখে। যখন শিক্ষার্থীরা দেখে তাদের সহপাঠীরা সুদোকু বা ধাঁধার মতো কোনো গণিতের সমস্যা উপভোগ করছে, তখন তারাও সমাধানে আগ্রহী হয়ে ওঠে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণভাবে, শিক্ষকরা শ্রেণিকক্ষে আনন্দদায়ক ও ইন্টারঅ্যাকটিভ গেমের আয়োজন করতে পারেন এবং শেখানোর সময় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে পারেন।<ref>Frenzel, A.C., Goets T., Pekrun R., & Watt, H.M.G. (2010). Development of Mathematics Interest in Adolescence: Influences of Gender, Family and School Context. ''Journal of Research on Adolescence, 20''(2), 507-537. doi:10.1111/j.1532-7795.2010.00645.x</ref> এটি এমন একটি বিষয় শেখার আগ্রহ তৈরি করবে, যা আগে শিক্ষার্থীরা উপভোগ করতো না। ফলে, শিক্ষকদের উচিত শিক্ষার্থীদের শেখার জন্য আনন্দদায়ক পরিবেশ তৈরি করা যাতে গণিতের প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধি পায়। যদি শিক্ষার্থীরা গণিতকে ঘৃণা করে, তবে তাদের শেখানো অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়ে। তারা তখন কেবল বাধ্য হয়ে পড়ে, আগ্রহ নিয়ে নয়।
==== সাংস্কৃতিক পার্থক্য ====
বিভিন্ন সাংস্কৃতিক পটভূমি থেকে আসা শিক্ষার্থীদের একাডেমিক সাফল্যের স্তর ও লক্ষ্য ভিন্ন হয়ে থাকে।<ref>Tsao, Y-L. (2004). A Comparison of American and Taiwanese Students: Their Math Perception. ''Journal of Instructional Psychology, 31''(3). Retrieved from http://web.b.ebscohost.com.proxy.lib.sfu.ca/ehost/pdfviewer/pdfviewer?sid=97c91599-4222-4cc8-8717-703e6b774b06%40sessionmgr110&vid=19&hid=109</ref> তদুপরি, তাদের সংস্কৃতির ওপর ভিত্তি করে গণিতের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি ভিন্ন হতে পারে। যখন কোনো সংস্কৃতি কোনো বিষয়ে যেমন গণিতে বিশেষ গুরুত্ব দেয়, তখন সেই সংস্কৃতির শিশুদের ছোটবেলা থেকেই স্কুল ও বাড়িতে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। ফলে, এদের গণিতের দক্ষতা তুলনামূলকভাবে বেশি হয়। যারা নিয়মিত গণিত চর্চা করে, তাদের অটোমেটিসিটি (স্বয়ংক্রিয়ভাবে সমাধান করার ক্ষমতা) বেশি হয় কারণ তারা বিভিন্ন গণিত সমস্যার যথেষ্ট অনুশীলন করে। তারা উপযুক্ত কৌশল বেছে নিয়ে দ্রুত সমস্যার সমাধান করতে পারে।<ref>Imbo, I., & LeFevre, Jo-Anne. (2009). Cultural differences in Complex Addition: Efficient Chinese versus Adaptive Belgians and Canadians. ''Journal of Experimental Psychology: Learning, Memory, and Cognition, 35''(6),1465-1476. doi:10.1037/a0017022</ref> অন্যদিকে, যদি কোনো সংস্কৃতি গণিতকে গুরুত্ব না দেয়, তবে সেই সংস্কৃতির শিশুরা কঠোরভাবে শেখে না এবং তাদের দক্ষতার স্তরও কম হয়। কোনও বিষয়ে ভালো করতে হলে স্কুলের পাশাপাশি বাড়িতেও চর্চা করা প্রয়োজন। যারা শুধুমাত্র স্কুলেই গণিত শেখে এবং বাড়িতে সক্রিয়ভাবে চর্চা করে না, তাদের অনুশীলন পর্যাপ্ত নয়। সেইসঙ্গে, এমন সংস্কৃতি যেখানে উচ্চ মান, পরিশ্রম, এবং ইতিবাচক মনোভাবকে মূল্য দেওয়া হয়, সেগুলোর শিক্ষার্থীদের একাডেমিক সাফল্যের সম্ভাবনা বেশি থাকে।<ref>Imbo, I., & LeFevre, Jo-Anne. (2009). Cultural differences in Complex Addition: Efficient Chinese versus Adaptive Belgians and Canadians. ''Journal of Experimental Psychology: Learning, Memory, and Cognition, 35''(6),1465-1476. doi:10.1037/a0017022</ref>
বিভিন্ন সংস্কৃতির ভাষাও ভিন্ন। এর অর্থ, তারা গণিত সমস্যা প্রকাশের ধরনেও পার্থক্য থাকতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে, চীনা সংখ্যার ভাষাগত কাঠামো (যেমন ১৫ মানে "দশ-পাঁচ") ইংরেজির তুলনায় শেখা সহজ। ইংরেজিতে যেমন 12 মানে "twelve" এবং -teen শব্দগুলোর মধ্যে ধারাবাহিকতা থাকে না।<ref>Imbo, I., & LeFevre, Jo-Anne. (2009). Cultural differences in Complex Addition: Efficient Chinese versus Adaptive Belgians and Canadians. ''Journal of Experimental Psychology: Learning, Memory, and Cognition, 35''(6),1465-1476. doi:10.1037/a0017022</ref> চীনা সংখ্যা উচ্চারণ করা ইংরেজির তুলনায় দ্রুত হয়, যা শিক্ষার্থীদের গণিত দক্ষতাকে প্রভাবিত করে। ফলে, চীনা ভাষায় সংখ্যাগুলো স্বল্প-মেয়াদী স্মৃতিতে দীর্ঘ সময় ধরে রাখা যায়, বিশেষ করে বহু-অঙ্কের জটিল সমস্যায়।<ref>Imbo, I., & LeFevre, Jo-Anne. (2009). Cultural differences in Complex Addition: Efficient Chinese versus Adaptive Belgians and Canadians. ''Journal of Experimental Psychology: Learning, Memory, and Cognition, 35''(6),1465-1476. doi:10.1037/a0017022</ref> তাই পাঠদানের কৌশল পরিকল্পনার সময় শিক্ষার্থীদের সাংস্কৃতিক পার্থক্য বিবেচনায় নেওয়া উচিত, কারণ তা গণিত সমস্যার প্রতি তাদের দৃষ্টিভঙ্গি প্রভাবিত করতে পারে।
=== গণিতে আত্ম-দক্ষতা ===
গণিতে শিক্ষার্থীদের আত্ম-দক্ষতা বলতে বোঝায় তারা নিজের সম্পর্কে কতটা বিশ্বাস রাখে যে তারা গণিতের প্রশ্ন সমাধান করতে পারবে। যারা বেশি আত্মবিশ্বাসী তারা গণিত সংশ্লিষ্ট কাজে আরও সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে এবং তাদের একাডেমিক সাফল্যও বেশি হয়। অন্যদিকে, যারা আত্মবিশ্বাস কম রাখে তারা গণিত সমস্যা সমাধানে বেশি দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয় এবং তাদের পারফরম্যান্স কম হয়। তাই, গণিতে আত্ম-দক্ষতা সরাসরি শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ ও সাফল্যের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত।
==== গণিতে আত্ম-দক্ষতার প্রভাব ====
আত্ম-দক্ষতা শিক্ষার্থীদের চিন্তা, বোঝাপড়া এবং শেখার অনুভূতিতে প্রভাব ফেলে। যারা নিজেদের দক্ষ মনে করে, তারা গণিতে ভালো করার ক্ষমতা আছে বলে বিশ্বাস করে।<ref>Schunk, D. H., & Zimmerman, B.J. (2006). Competence and control beliefs: Distinguishing the means and ends. In P.A. Alexander & P.H. Winne (Eds.), Handbook of educational psychology (2nd ed., pp.349-367). Yahweh, NJ: Erlbaum.</ref> এই বিশ্বাসের কারণে তারা আরও উৎসাহী হয়ে পড়ে এবং বেশি পড়াশোনা করে। ফলে, তারা আত্ম-সার্থকতার চক্রে পড়ে, অর্থাৎ তাদের নিজস্ব বিশ্বাস বাস্তব হয়ে ওঠে। বিপরীতে, যারা নিজেকে অদক্ষ মনে করে, তারা ভাবে যতই চেষ্টা করুক, গণিতে সফল হতে পারবে না।<ref>Schunk, D. H., & Zimmerman, B.J. (2006). Competence and control beliefs: Distinguishing the means and ends. In P.A. Alexander & P.H. Winne (Eds.), Handbook of educational psychology (2nd ed., pp.349-367). Yahweh, NJ: Erlbaum.</ref> এ কারণে তারা গণিত চর্চায় অনুপ্রাণিত হয় না এবং কয়েকবার চেষ্টা করেই হাল ছেড়ে দেয়। এতে তাদের "আমি পারি না" বিশ্বাস আরও দৃঢ় হয় এবং সেই অনুযায়ী তারা কাজ করতে থাকে।
==== শিক্ষার্থীদের আত্ম-দক্ষতা মূল্যায়ন ====
শিক্ষার্থীরা গণিতের কোন বিষয় শিখতে আত্মবিশ্বাসী কিনা তা মূল্যায়ন করা জরুরি, কারণ এটি তাদের পারফরম্যান্সকে প্রভাবিত করতে পারে। আত্ম-দক্ষতা মূল্যায়নের একটি উপায় হলো, প্রথম পুরুষে কিছু বিবৃতি তৈরি করা এবং শিক্ষার্থীদেরকে প্রত্যেকটি বিবৃতির জন্য ০ থেকে ১০০ স্কেলে রেট করতে বলা।<ref>Bandura, A. (1997). Self-efficacy: The exercise of control.New York, NY:Freeman.</ref> প্রথমে শিক্ষককে নির্দিষ্ট একটি টপিক বেছে নিতে হবে, যেমন "পৃষ্ঠতলের ক্ষেত্রফল নির্ধারণ"। এরপর সেই বিষয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য বিবৃতিগুলো তৈরি করতে হবে এবং শিক্ষার্থীরা সেগুলোর সত্যতা রেট করবে।
{| class="wikitable"
!রেট (০-১০০)
!বিবৃতি
|-
|৮০
|আমি জানি, প্যারালেলোগ্রামের পৃষ্ঠতলের ক্ষেত্রফল নির্ধারণে কী তথ্য লাগবে।
|-
|১০০
|আমি দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ দেওয়া থাকলে একটি আয়তক্ষেত্রের পৃষ্ঠতলের ক্ষেত্রফল নির্ধারণ করতে পারি।
|-
|৬০
|আমি ট্র্যাপেজিয়ামের ক্ষেত্রফলের সমীকরণ লিখতে পারি।
|-
|৫০
|আমি আমার সহপাঠীকে বোঝাতে পারি কেন ত্রিভুজের ক্ষেত্রফল bxh ÷2 অর্থাৎ, (ভূমি x উচ্চতা) / ২
|-
|৯০
|আমি ৪ সেন্টিমিটার দৈর্ঘ্যের একটি বর্গক্ষেত্রের ক্ষেত্রফল নির্ধারণ করতে পারি।
|}
এই স্কোরগুলো যোগ করে শিক্ষকেরা শিক্ষার্থীর আত্ম-দক্ষতার একটি সামগ্রিক চিত্র পেতে পারেন। উপরিউক্ত উদাহরণে, মোট স্কোর হবে ৮০+১০০+৬০+৫০+৯০। শিক্ষক চাইলে এই আত্ম-দক্ষতার তুলনা শিক্ষার্থীর গণিত বিষয়ে সামগ্রিক আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে করতে পারেন। আত্ম-দক্ষতা শিক্ষার্থীদের শেখার অনুপ্রেরণা ও আচরণকে প্রভাবিত করতে পারে, তাই শিক্ষকদের উচিত সেই অনুযায়ী পাঠ পরিকল্পনা তৈরি করা।
==== শিক্ষার্থীদের আত্ম-দক্ষতার বিকাশ ====
বান্দুরা আত্ম-দক্ষতা বিকাশে চারটি প্রধান উৎস চিহ্নিত করেছেন।<ref>Bandura, A. (1986). Social foundations of thought and action: A social cognitive theory. Englewood Cliffs, NJ, US: Prentice-Hall, Inc.</ref> প্রথমটি হলো শিক্ষার্থীদের সাফল্যের অভিজ্ঞতা।<ref>Bandura, A. (1986). Social foundations of thought and action: A social cognitive theory. Englewood Cliffs, NJ, US: Prentice-Hall, Inc.</ref> যেমন, যদি শিক্ষার্থী কোনো গণিত পরীক্ষায় ভালো ফল করে, তার সেই বিষয়ে আত্মবিশ্বাস বাড়ে। দ্বিতীয়টি হলো বিভিন্ন অভিজ্ঞতা।<ref>Bandura, A. (1986). Social foundations of thought and action: A social cognitive theory. Englewood Cliffs, NJ, US: Prentice-Hall, Inc.</ref> শিক্ষার্থীরা যখন তাদের সমমানের সহপাঠীদের কাজ করতে দেখে, তখন তারা নিজেরও পারবে বলে বিশ্বাস করতে শুরু করে। এমনকি গণিতবিদদের নিয়ে তৈরি ডকুমেন্টারি দেখা পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের আত্ম-দক্ষতা বাড়াতে পারে।<ref>Hekimoglu, S., & Kittrell, E. (2010). Challenging students' beliefs about mathematics: The use of documentary to alter perceptions of efficacy. PRIMUS: Problems, Resources, And Issues In Mathematics Undergraduate Studies, 20(4), 299-331. doi:10.1080/10511970802293956</ref>
তৃতীয় প্রভাবটি হলো সামাজিক প্রভাব।<ref>Bandura, A. (1986). Social foundations of thought and action: A social cognitive theory. Englewood Cliffs, NJ, US: Prentice-Hall, Inc.</ref> এটি শিক্ষার্থীদের ঘনিষ্ঠ মানুষদের (যেমন অভিভাবক, সহপাঠী বা শিক্ষক) কাছ থেকে আসা ইতিবাচক বক্তব্য হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, শিক্ষক যদি বলেন “তুমি বীজগণিতের সমস্যাগুলো এখন আগের থেকে ভালোভাবে সমাধান করতে পারছো,” তাহলে এটি শিক্ষার্থীদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে তোলে।
চতুর্থ প্রভাবটি হলো শিক্ষার্থীদের মানসিক অবস্থা।<ref>Bandura, A. (1986). Social foundations of thought and action: A social cognitive theory. Englewood Cliffs, NJ, US: Prentice-Hall, Inc.</ref> এটি শিক্ষার্থীদের কোনো পরিস্থিতির প্রতি আবেগগত প্রতিক্রিয়াকে বোঝায়। উদাহরণস্বরূপ, একজন শিক্ষার্থী মনে করতে পারে যে গণিত পরীক্ষায় ব্যর্থ হওয়ার কারণ তার অযোগ্যতা, অথচ প্রকৃতপক্ষে সেটা ছিল উদ্বেগের ফল। এই ক্ষেত্রে, শিক্ষার্থী তার ক্ষমতা ভুলভাবে মূল্যায়ন করে এবং গণিত বিষয়ে আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলে। আবার কোনো শিক্ষার্থী পরীক্ষায় ভালো করলেও সেটিকে নিজের দক্ষতা নয়, বরং ভাগ্যের কারণে হয়েছে বলে মনে করতে পারে। এর ফলে, সে আত্মবিশ্বাস গঠনের একটি সুযোগ হারিয়ে ফেলে। সুতরাং, ইতিবাচক বা নেতিবাচক যেকোনো অভিজ্ঞতার প্রতি শিক্ষার্থীর দৃষ্টিভঙ্গি তার আত্মদক্ষতা গঠনে প্রভাব ফেলে। এই ক্ষেত্রে আত্মদক্ষতা বাড়ানোর উপায় হলো শিক্ষার্থীদের তাদের প্রকৃত দক্ষতা চেনাতে সহায়তা করা এবং তাদের দক্ষতার প্রতি ইতিবাচক অনুভূতি তৈরি করা।
উশের একটি গবেষণা পরিচালনা করেছেন, যেখানে তিনি শিক্ষার্থী, অভিভাবক এবং শিক্ষকদের সাক্ষাৎকার নিয়ে মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের গণিত বিষয়ক আত্মদক্ষতার চারটি উৎস যাচাই করেন।<ref>Usher, E. L. (2009). Sources of middle school students’ self-efficacy in mathematics: A qualitative investigation. American Educational Research Journal, 46(1), 275-314. doi:10.3102/0002831208324517</ref> এই গবেষণার ফলাফল বান্দুরার ধারণার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ, যেখানে দক্ষতার অভিজ্ঞতা, পরোক্ষ অভিজ্ঞতা, সামাজিক প্রভাব ও মানসিক অবস্থা – সবই শিক্ষার্থীদের আত্মবিশ্বাস গঠনের সঙ্গে যুক্ত।
দক্ষতার অভিজ্ঞতা শিক্ষার্থীদের আত্মদক্ষতা বিকাশের সাথে দৃঢ়ভাবে সম্পর্কযুক্ত। উশের একটি কৌশল প্রস্তাব করেন যেটি গণিত শিক্ষকরা ব্যবহার করতে পারেন শিক্ষার্থীদের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে—“শিক্ষাদান এমনভাবে করা যাতে শিক্ষার্থীদের দক্ষতার অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ সর্বাধিক হয়, তা যত ছোটই হোক না কেন।”<ref>Usher, E. L. (2009). ...</ref> উদাহরণস্বরূপ, শিক্ষক অ্যালগরিদম বা বীজগণিত শেখানোর সময় সঠিকতা যাচাই করার কৌশল শেখাতে পারেন। যেমন প্রশ্ন: ১৮ ÷ ৬ =? শিক্ষক শিখাতে পারেন যে ভাগফলকে গুণ করে যদি ভাগফল × ভাজক = মূল সংখ্যা হয় (৩ × ৬ = ১৮), তবে উত্তর সঠিক। যারা এই কৌশল শিখেছে ও ব্যবহার করেছে, তারা গণিতে দক্ষতার অভিজ্ঞতা বাড়িয়েছে।<ref>Ramdass, D., & Zimmerman, B. J. (2008). ...</ref> শিক্ষার্থীদের সক্ষমতার মধ্যে থেকে চ্যালেঞ্জিং কাজ দেওয়া তাদের দক্ষতা বাড়াতে সাহায্য করে।
উশেরের গবেষণায় আরও দেখা গেছে, এই চারটি উৎসের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্কও রয়েছে। পরোক্ষ অভিজ্ঞতার ক্ষেত্রে দেখা গেছে, শিক্ষার্থীদের আত্মবিশ্বাসে অভিভাবক ও শিক্ষকের গণিত অভিজ্ঞতার প্রভাব আছে। একটি গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ হলো, এক শিক্ষার্থী তার অভিভাবকদের গণিতে ব্যর্থতাকে এভাবে ব্যাখ্যা করেছে—“আমি আলাদা হতে পারি।”<ref>Usher, E. L. (2009). ...</ref> এটি বোঝায় যে কেবল সফলতাই নয়, ব্যর্থতাও শিক্ষার্থীদের আত্মবিশ্বাসে প্রভাব ফেলতে পারে। এছাড়া, শিক্ষার্থীর মানসিক অবস্থা অন্যদের অভিজ্ঞতা কীভাবে তারা ব্যাখ্যা করে, তাতেও প্রভাব ফেলে। সামাজিক প্রভাবের ক্ষেত্রে দেখা গেছে, অভিভাবক ও শিক্ষকের বার্তা শিক্ষার্থীদের সক্ষমতা বিশ্বাসে বড় প্রভাব ফেলতে পারে। যেমন, যদি বাবা-মা বলেন গণিত একটি জন্মগত ক্ষমতা—“তোমার আছে বা নেই”—তাহলে সন্তানরা নিজেকে অক্ষম মনে করে আত্মবিশ্বাস হারাতে পারে। এই ক্ষেত্রে সামাজিক প্রভাব মানসিক অবস্থাতেও প্রভাব ফেলে।
==== শিক্ষকের আত্মদক্ষতা ====
শিক্ষকের শিক্ষাদানের আত্মদক্ষতা বলতে বোঝায় যে, তারা বিশ্বাস করেন তারা শিক্ষার্থীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনতে পারেন,<ref>Woolfolk, A. E., & Hoy, W. K. (1990). ...</ref> যেমন একাডেমিক পারফরম্যান্স, আত্মদক্ষতা, অনুপ্রেরণা, মনোভাব এবং আগ্রহ। উচ্চ আত্মদক্ষতা গঠনের জন্য শিক্ষকদের প্রয়োজন ইতিবাচক মনোভাব, বিষয়বস্তুর প্রতি গভীর জ্ঞান এবং শিক্ষণ কৌশলের জ্ঞান।
গণিত বিষয়ে শিক্ষকের মনোভাব শিক্ষার্থীদের মনোভাব ও পারফরম্যান্সে বড় প্রভাব ফেলে। একটি গবেষণায় চারটি গ্রুপ—প্রাথমিক শিক্ষক (K-4), মাধ্যমিক শিক্ষক, অন্যান্য প্রশাসনিক কর্মকর্তা, এবং বিশেষ শিক্ষা শিক্ষক—এর মধ্যে সাক্ষাৎকার ও একটি মনোভাব স্কেল পূরণের মাধ্যমে শিক্ষকদের মনোভাব বিশ্লেষণ করা হয়েছে।<ref>Kolstad, R. K., Hughes, S., & Briggs, L. D. (1994). ...</ref> এতে দেখা যায়, মাধ্যমিক শিক্ষকরা সবচেয়ে ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করেন (৬০% অত্যন্ত ইতিবাচক, ৩০% নিরপেক্ষ, ১০% অত্যন্ত নেতিবাচক), এবং প্রাথমিক শিক্ষকরা সবচেয়ে নেতিবাচক মনোভাব পোষণ করেন (৪৩% ইতিবাচক, ২৩% নিরপেক্ষ, ৩৪% নেতিবাচক)। ফলাফল নির্দেশ করে প্রাথমিক স্তরে গণিতকে তেমন গুরুত্ব দেওয়া হয় না।
নেতিবাচক মনোভাব থাকলে শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের শেখাতে সক্ষম—এই বিশ্বাসটিও হারিয়ে ফেলেন, যার সঙ্গে আত্মদক্ষতা জড়িত। শিক্ষকের শিক্ষাদান কৌশল ও বিষয়বস্তুর জ্ঞানও তাদের আত্মদক্ষতার ওপর প্রভাব ফেলে। একটি সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, গণিত বিষয়ক শিক্ষকের জ্ঞান ও আত্মদক্ষতার মধ্যে শক্তিশালী সম্পর্ক রয়েছে, যা দেখায়—যাদের বিষয়বস্তু ও কৌশলগত জ্ঞান বেশি, তারা শিক্ষাদানে বেশি আত্মবিশ্বাসী এবং শিক্ষার্থীদের শেখাতে পারার বিশ্বাস রাখেন।<ref>Fox, A. M. (2015). ...</ref>
শিক্ষকের আত্মদক্ষতা বিভিন্নভাবে শিক্ষার্থীদের শেখায় প্রভাব ফেলে। এর মধ্যে অন্যতম হলো শিক্ষার্থীর একাডেমিক সাফল্য। একটি গবেষণায় দেখা গেছে, K-12 স্তরের শিক্ষকদের আত্মদক্ষতা শিক্ষার্থীদের সাফল্যের সঙ্গে ইতিবাচকভাবে সম্পর্কযুক্ত।<ref>Chears-Young, J. B. (2015). ...</ref> এছাড়া, এটি শিক্ষার্থীদের অনুপ্রেরণা, আগ্রহ এবং শেখার কৌশলেও প্রভাব ফেলে। আত্মদক্ষ শিক্ষকরা প্রশংসা ব্যবহার করেন, সমালোচনার বদলে, এবং অধিক গ্রহণযোগ্য ও লক্ষ্যভিত্তিক হন।<ref>Kagan, D.M. (1992). ...</ref> অন্য একটি গবেষণায় দেখা গেছে, উচ্চ আত্মদক্ষতাসম্পন্ন শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের শেখার কৌশল শেখান এবং বেশি একাডেমিক সময় দেন, যা পারফরম্যান্স বাড়ায়।<ref>Ghaith, G., & Yaghi, H. (1997). ...</ref>
=== স্ব-নিয়ন্ত্রিত শেখা ===
অনেকে মনে করেন, শিক্ষার্থীদের গণিতে খারাপ ফলাফল তাদের অযোগ্যতা বা পড়াশোনার ঘাটতির কারণে হয়। কিন্তু সব ক্ষেত্রে তা সঠিক নয়। অনেক সময় খারাপ ফলাফল হয় কারণ শিক্ষার্থীরা উপযুক্ত কৌশল ব্যবহার করতে জানে না বা '''স্ব-নিয়ন্ত্রিত শেখা'''র অভাব রয়েছে।
স্ব-নিয়ন্ত্রিত শেখা হলো, শিক্ষার্থীরা তাদের শেখার সমস্ত দিক নিজেরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে—পরিকল্পনা থেকে শুরু করে পরবর্তী মূল্যায়ন পর্যন্ত।<ref>Zimmerman, B. (2000). ...</ref> এই শেখার তিনটি মূল উপাদান আছে।
প্রথমটি হলো, মেটাকগনিটিভ সচেতনতা—মানে কীভাবে শিক্ষার্থীরা লক্ষ্য স্থির করে এবং তা অর্জনের পরিকল্পনা তৈরি করে।<ref>Zimmerman, B. (2000). ...</ref>
দ্বিতীয়টি হলো, কৌশল ব্যবহার—অর্থাৎ শিক্ষার্থীরা কী কী স্ব-নিয়ন্ত্রিত কৌশল প্রয়োগ করতে পারে। দক্ষ শিক্ষার্থীরা বেশি কার্যকর কৌশল ব্যবহার করে।<ref>Zimmerman, B. J., & Martinez-Pons, M. (1990). ...</ref>
তৃতীয়টি হলো, অনুপ্রেরণা নিয়ন্ত্রণ—যেখানে শিক্ষার্থীরা লক্ষ্য স্থির করে এবং তাদের দক্ষতা ও পারফরম্যান্সে ইতিবাচক বিশ্বাস রাখে।<ref>Zimmerman, B. (2000). ...</ref>
স্ব-নিয়ন্ত্রিত শেখার দক্ষতা শিক্ষার্থীর গণিত সাফল্যে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলে। এই দক্ষতা বাড়লে, তারা ভালো কৌশল ব্যবহার করে এবং কীভাবে গণিত পড়তে হয় তা ভালোভাবে বোঝে, ফলে তাদের গণিতের ফলাফল উন্নত হয়।
==== গণিতে আত্মনিয়ন্ত্রিত শেখার প্রোগ্রাম নিয়ে একটি গবেষণা ====
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় পরিচালিত একটি গবেষণায় একটি গণিতভিত্তিক আত্মনিয়ন্ত্রিত শেখার প্রোগ্রাম গঠিত হয় এবং ফলাফল থেকে দেখা গেছে, যখন শিক্ষার্থীদের আত্মনিয়ন্ত্রিত শেখার দক্ষতা শেখানো হয়, তখন তাদের গণিতে অর্জনক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। এই গবেষণায় প্রাথমিক স্তরের গণিতে কম ফলাফলপ্রাপ্ত ৬০ জন শিক্ষার্থীকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এর মধ্যে ৩০ জনকে পরীক্ষামূলক দলে রাখা হয়, যারা এই গণিতভিত্তিক আত্মনিয়ন্ত্রিত শেখার প্রোগ্রামে অংশ নেয়।
এই প্রোগ্রামটি ৩০টি সেশনে বিভক্ত, যার লক্ষ্য শিক্ষার্থীদের আত্মনিয়ন্ত্রিত শেখার দক্ষতা বাড়ানো, তাদের মোটিভেশন নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা উন্নত করা এবং আত্মনিয়ন্ত্রণ কৌশল শেখানো। (সেশন ১-৫) প্রোগ্রামটি শুরু হয় শিক্ষার্থীদের আত্মনিয়ন্ত্রণ বিশ্বাস ব্যবস্থা গঠনের মাধ্যমে। এতে শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত দায়িত্ববোধ, আত্ম-দক্ষতা, শেখার লক্ষ্য এবং প্রচেষ্টার ভিত্তিতে কৃতিত্ব বোঝানোর মূল্য শেখানো হয় গল্প বলার মাধ্যমে এবং দলগত আলোচনায় অংশগ্রহণ করিয়ে।<ref>Camahalan, F. G. (2006). Effects of Self-Regulated Learning on Mathematics Achievement of Selected Southeast Asian Children. Journal Of Instructional Psychology, 33(3), 194-205.</ref> (সেশন ৬-১১) এরপর তাদের সামনে জিমারম্যানের প্রস্তাবিত ১৪টি আত্মনিয়ন্ত্রিত শেখার কৌশল উপস্থাপন করা হয়।<ref>Zimmerman, B. (2000). Attaining self-regulation: A social cognitive perspective. In M. Boekaerts, P. R. Pintrich, & M. Zeidner (Eds.), Handbook of self-regulation (pp.13-39). San Diego, CA: Academic Press.</ref> প্রতিটি কৌশলের ব্যবহার এবং গণিতে এর গুরুত্ব ব্যাখ্যা করা হয় এবং শিক্ষার্থীদের নিজে নিজে কৌশলগুলো চর্চা করার সুযোগ দেওয়া হয়। (সেশন ১২-৩০) শেষে, শিক্ষার্থীদের নিয়মিত গণিত পাঠে আত্মনিয়ন্ত্রিত শেখার কৌশল প্রয়োগে দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়। পাশাপাশি, শিক্ষার্থীদের নিজেদের অগ্রগতি মূল্যায়ন করতে হয় লক্ষ্য নির্ধারণ, আত্মমূল্যায়ন এবং আত্ম-প্রতিক্রিয়া ফর্ম পূরণের মাধ্যমে। প্রোগ্রামের ৩০টি সেশন শেষ করার পর শিক্ষার্থীদের একটি গণিত পরীক্ষার পাশাপাশি আত্মনিয়ন্ত্রিত শেখার দক্ষতা যাচাইয়ের পরীক্ষা নেওয়া হয়। ফলাফল থেকে দেখা যায়, যারা প্রোগ্রামে অংশ নেয় তারা উভয় পরীক্ষাতেই উল্লেখযোগ্যভাবে ভালো ফলাফল করে যাদের অংশগ্রহণ ছিল না তাদের তুলনায়।
===== গণিতে আত্মনিয়ন্ত্রিত শেখার কৌশল প্রয়োগ =====
{| class="wikitable"
!কৌশলসমূহ
!গণিতে প্রয়োগ
|-
|আত্ম-মূল্যায়ন
|সঠিক পদ্ধতিতে প্রশ্নের যথার্থ উত্তর মিলিয়ে দেখা।
|-
|সংগঠন ও রূপান্তর
|প্রশ্নকে গুছিয়ে নেয়া, যেমন গ্রাফ, সমীকরণ, চিত্র ব্যবহার করা।
|-
|লক্ষ্য নির্ধারণ ও পরিকল্পনা
|লক্ষ্য নির্ধারণ এবং তা অর্জনের পরিকল্পনা।
|-
|নোট নেয়া ও নজরদারি
|ক্লাসে নোট নেয়া এবং সমীকরণ গুছিয়ে রাখা।
|-
|পরিবেশ গঠন
|উপযুক্ত পরিবেশে অধ্যয়ন করা।
|-
|আত্ম-প্রতিক্রিয়া
|নিজের সাফল্য বা ব্যর্থতার জন্য নিজেই পুরস্কার বা শাস্তি নির্ধারণ।
|-
|অনুশীলন ও মুখস্থকরণ
|বিভিন্ন ধরনের গণিত সমস্যা সমাধানের মাধ্যমে শেখা।
|-
|তথ্য অনুসন্ধান
|অ-সামাজিক উৎস থেকে তথ্য সংগ্রহ।
|-
|সামাজিক সহায়তা চাওয়া
|বন্ধু, শিক্ষক বা অন্য প্রাপ্তবয়স্কদের সাহায্য চাওয়া।
|-
|পুনরায় রিভিউ করা
|পাঠ্যবই, নোট বা হোমওয়ার্ক পুনরায় পড়া।
|}
৩০টি সেশনে অংশ নেওয়ার পর শিক্ষার্থীদের গণিত অর্জন এবং আত্মনিয়ন্ত্রিত শেখার দক্ষতায় লক্ষণীয় উন্নতি দেখা গেছে।<ref>Camahalan, F. G. (2006). Effects of Self-Regulated Learning on Mathematics Achievement of Selected Southeast Asian Children. Journal Of Instructional Psychology, 33(3), 194-205.</ref> এটি প্রমাণ করে যে, কম অর্জনক্ষম শিক্ষার্থীদের আত্মনিয়ন্ত্রিত শেখার কৌশল শেখানো সম্ভব এবং কার্যকর। যখন তারা এই দক্ষতা অর্জন করে এবং প্রক্রিয়াভিত্তিক চিন্তায় মনোযোগ দেয়, তখন তাদের সমস্যা সমাধানের দক্ষতা বাড়ে। উন্নতির সাথে সাথে শিক্ষার্থীরা তাদের সামর্থ্য সম্পর্কে আত্মবিশ্বাসী হতে শুরু করে। নিজেদের প্রশংসা ও পুরস্কার প্রদান তাদের আরও উন্নতির দিকে ধাবিত করে। এর ফলে তাদের আত্ম-দক্ষতা এবং গণিতের প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধি পায়। এটি একটি ইতিবাচক চক্র তৈরি করে: শিক্ষার্থীরা যখন বিশ্বাস করতে শুরু করে যে তারা গণিতে সফল হতে পারে, তখন তারা আরও কঠোর পরিশ্রম করে এবং আত্মনিয়ন্ত্রিত শেখার সঠিক কৌশল প্রয়োগে সক্ষম হয়।
ঐতিহ্যগত শ্রেণিকক্ষে, গণিতকে সাধারণত একটি উত্তর-কেন্দ্রিক বিষয় হিসেবে দেখা হয়, প্রক্রিয়া-কেন্দ্রিক নয়। গতি ও নির্ভুলতার ওপর গুরুত্ব দিলে, শিক্ষার্থীরা কেবল তথ্য মুখস্থ করতে শেখে, কিন্তু গণিত বুঝে না। এছাড়া, ঐ পরিবেশে শেখার প্রবাহ শুধুমাত্র শিক্ষক থেকে শিক্ষার্থীর দিকে হয়। এর ফলে শিক্ষার্থীদের আত্মনিয়ন্ত্রিত শেখার কৌশল প্রয়োগ করা কঠিন হয়ে পড়ে, কারণ তারা যখন তাদের শেখার ওপর নিয়ন্ত্রণ পায় না, তখন তারা আত্ম-নিয়ন্ত্রণ শেখে না কিংবা স্বতঃস্ফূর্তভাবে তা প্রয়োগেও আগ্রহী হয় না।<ref>Camahalan, F. G. (2006). Effects of Self-Regulated Learning on Mathematics Achievement of Selected Southeast Asian Children. Journal Of Instructional Psychology, 33(3), 194-205.</ref> অতএব, আত্মনিয়ন্ত্রিত কৌশল প্রয়োগে শ্রেণিকক্ষের পরিবেশ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষার্থীদের কিছু নিয়ন্ত্রণ দিলে তারা শেখার সময় নিজেরাই সিদ্ধান্ত নিতে শেখে। গণিত শিক্ষকরা জ্ঞানের আদান-প্রদান এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ উৎসাহিত করা উচিত। শিক্ষার্থীরা যখন লক্ষ্য নির্ধারণ, পরিকল্পনা ও নিজেদের কাজ মূল্যায়নে অংশগ্রহণ করে, তখন তারা আত্মনিয়ন্ত্রিত শেখার কৌশল চর্চা করার সুযোগ পায় যা তাদের গণিত অর্জনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।
উচ্চ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা নিম্ন শ্রেণির শিক্ষার্থীদের তুলনায় আত্মনিয়ন্ত্রিত শেখার কৌশল ভালোভাবে প্রয়োগ করতে পারে।<ref>Camahalan, F. G. (2006). Effects of Self-Regulated Learning on Mathematics Achievement of Selected Southeast Asian Children. Journal Of Instructional Psychology, 33(3), 194-205.</ref> এর কারণ হলো, বড় শিক্ষার্থীরা আত্মনিয়ন্ত্রিত শেখার ধারণা ও কৌশলগুলো ভালোভাবে বুঝতে পারে। এছাড়া কিছু কৌশল যেমন পরিকল্পনা লেখা, শেখার উপাদান গুছিয়ে রাখা—এসবের জন্য পূর্বজ্ঞান দরকার হয়। ফলে বড়দের এসব কৌশল শেখা অপেক্ষাকৃত সহজ হয় এবং তারা গণিত অর্জনে তুলনামূলক বেশি উন্নতি করে।
== শিক্ষণ বিষয়ক প্রভাব ==
=== গণিত শেখার অক্ষমতা ===
সাম্প্রতিক গবেষণাগুলো যেগুলো জ্ঞানচর্চা, কার্যস্মৃতি এবং গণিত শেখার অক্ষমতা নিয়ে হয়েছে, সেগুলো দেখায় যে গণিতে “গণনা” এবং “সমস্যা সমাধান” দুটি আলাদা শেখার অক্ষমতা আছে। এতদিন গণিত মূল্যায়ন সাধারণ ছিল এবং এই দুই ডোমেইনের পার্থক্য বিবেচনায় নেওয়া হতো না। শিক্ষার্থী মূল্যায়নের সময় পেশাদারদের উচিত এই দুটি দক্ষতা আলাদাভাবে বিবেচনা করা। শিক্ষকদেরও উচিত শিশুদের শেখানোর সময় এই আলাদা ডোমেইন দুটি চিন্তা করে পরিকল্পনা করা। গণিত শেখাতে কিছু পরামর্শ ও টুলস শিক্ষার্থীদের উপকারে আসতে পারে:
=== বাহ্যিক উপস্থাপন ===
গণিতে সমস্যা সমাধান অনেক সময় মানসিকভাবে কঠিন হতে পারে, তাই বাহ্যিক উপস্থাপন অনেক উপকারী হতে পারে। এটি শিক্ষার্থীদের জন্য গণিতের ধারণা স্পষ্ট করে তুলে ধরে, যাতে তারা সহজেই জ্ঞান অর্জন করতে পারে। বাহ্যিক উপস্থাপনের কিছু উদাহরণ হলো—সমাধানসহ উদাহরণ, অ্যানিমেশন ও চিত্র।
==== সমাধানসহ উদাহরণ ====
ওয়ার্ক-আউট উদাহরণগুলো একটি দরকারী শিক্ষামূলক পদ্ধতি যা শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের গণিত শেখার সুবিধার্থে ব্যবহার করেন। গবেষণা দেখায় যে ওয়ার্ক-আউট উদাহরণগুলো ব্যবহার করে এমন শিক্ষার্থীদের বাড়িয়ে তুলতে পারে, যাদের গণিতের কর্মক্ষমতা স্তর কম। একটি কারণ হলো যখন শিক্ষার্থীদের সমাধান করার জন্য কোনও সমস্যা দেওয়া হয়, তখন তাদের সর্বোত্তম লক্ষ্য গণিত শেখার পরিবর্তে সমস্যাটি সমাধান করা। বিপরীতে, যখন শিক্ষার্থীদের কাজের উদাহরণ দেওয়া হয়, তখন তারা আসলে শিখে এবং তাদের নিজেরাই উপকরণগুলো ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করে।<ref>Renkl, A. (1999). Learning Mathematics from worked-out examples: Analyzing and Fostering self-explanations. ''European Journal of Psychology of Education, 14''(4), 477-488.</ref> সুতরাং, কাজ করা উদাহরণগুলো শিক্ষার্থীদের জন্য ইচ্ছাকৃত শিক্ষার উপর আরও বেশি ফোকাস করে। শিক্ষার্থীরা সাধারণত গাণিতিক তত্ত্ব বা প্রমাণ বুঝতে পারে না কারণ তারা বুঝতে জটিল। যাইহোক, পরিশ্রমী উদাহরণগুলো শিক্ষার্থীদের শেখার অর্জন এবং গণিতের ধারণাটি বোঝার জন্য সহজ। সুস্পষ্ট নির্দেশনা না দিয়ে, শিক্ষকরা কেবল শিক্ষার্থীদের উল্লেখ করার জন্য উদাহরণ হিসাবে গাণিতিক সমস্যাটি কীভাবে সমাধান করবেন তার পদক্ষেপগুলো দেখায়। গাণিতিক সমস্যা সমাধানের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপগুলোর বিস্তারিত ব্যাখ্যা রয়েছে। তারপরে, শিক্ষার্থীদের নিজেরাই একই ধরণের গাণিতিক সমস্যাটি স্ব-ব্যাখ্যা করার স্বায়ত্তশাসন রয়েছে। সুতরাং, তারা অনেক গাণিতিক সমস্যা সমাধানের জন্য রেফারেন্স হিসাবে কাজ করা উদাহরণগুলো ব্যবহার করতে পারে।<ref>Tu, C-T. (2011). An Instructional experiment: Using worked-out examples in mathematics problem-solving of elementary school students. ''Bulletin of Educational Psychology, 43''(1), 25-50.</ref> শিক্ষকরা যে পরিশ্রমী উদাহরণ দিয়েছেন তা উল্লেখ করে তারা কীভাবে সমস্যার সমাধান করা যায় সে সম্পর্কে তাদের চিন্তাভাবনাকে স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত করতে পারে। অতএব, এটি শিক্ষার্থীদের স্ব-নিয়ন্ত্রিত শিক্ষার ক্ষেত্রেও বাড়িয়ে তুলতে পারে কারণ তারা সমস্যা সমাধানে তাদের সমালোচনামূলক চিন্তাভাবনা অনুশীলন করছে। এই '''মেটাকগনিটিভ''' কৌশলটি শিক্ষার্থীদের বিশেষত গাণিতিক শব্দ সমস্যাগুলোতে তাদের সমস্যা সমাধানের দক্ষতা উন্নত করতে সহায়তা করতে পারে। মেটাকগনিটিভ কৌশলগুলোর মধ্যে স্ব-জিজ্ঞাসা, স্ব-মূল্যায়ন, সংক্ষিপ্তকরণ এবং সমস্যাটি চিত্রিত করা অন্তর্ভুক্ত।<ref>Tajika, H., Nakatsu, N., Nozaki H., Neumann, E., & Maruno S. (2007). Effects of Self-Explanation as a Metacognitive Strategy for Solving Mathematical Word Problems. ''Japanese Psychological Research, 49''(3), 222-233.</ref> এই কৌশলগুলো শিক্ষার্থীদের জন্য জ্ঞান অর্জন করার সময় কাজ করা উদাহরণগুলো থেকে আরও গভীর বোঝার জন্য তৈরি করে বলে বিশ্বাস করা হয়। গবেষণায় দেখা গেছে যে শিক্ষার্থীরা সমস্যাটি স্ব-ব্যাখ্যা করতে এবং তাদের সমাধান করতে পারে তাদের উচ্চতর গণিতের কৃতিত্ব রয়েছে। যখন শিক্ষার্থীরা নিজেরাই গাণিতিক সমস্যাটি কীভাবে সমাধান করা যায় তার পদক্ষেপগুলো ব্যাখ্যা করে, তখন তারা তাদের প্রতিফলিত চিন্তাভাবনা অনুশীলন করে যা তথ্য দেওয়া হয়েছিল তার বাইরেও বৃহত্তর বোঝার তৈরি করতে পারে। প্রকৃতপক্ষে, শিক্ষার্থীরা গণিতের নতুন এবং পরিশীলিত জ্ঞান বিকাশ করতে পারে কারণ তারা তাদের পূর্ব জ্ঞানের সাথে নতুন শেখা উপকরণগুলোকে একত্রিত করে।<ref>Tajika, H., Nakatsu, N., Nozaki H., Neumann, E., & Maruno S. (2007). Effects of Self-Explanation as a Metacognitive Strategy for Solving Mathematical Word Problems. ''Japanese Psychological Research, 49''(3), 222-233.</ref> উপরন্তু, ওয়ার্ক-আউট উদাহরণগুলো গ্রুপ সেটিংসেও ব্যবহার করা যেতে পারে যেখানে শিক্ষার্থীরা গাণিতিক সমস্যা সমাধানে তাদের সহপাঠীদের সাথে আলোচনা করতে পারে। গবেষণায় দুটি উপায় পাওয়া গেছে যাতে শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষে ওয়ার্ক-আউট উদাহরণ ব্যবহার করতে পারে।<ref>Mevarech, Z. R., & Kramarski, B. (2003). The Effects of Metacognitive Training versus Worked-out Examples on Students’ mathematical reasoning. ''British Journal of Educational Psychology, 73''(4), 449-471. doi: http://dx.doi.org.proxy.lib.sfu.ca/10.1348/000709903322591181</ref> একটা উপায় হলো, যারা কাজের উদাহরণ বোঝে তারা যারা বোঝে না তাদের বোঝাতে পারবে। অন্য উপায়টি হলো শিক্ষার্থীরা তাদের যুক্তি এবং যুক্তি দক্ষতা ব্যবহার করে সম্পূর্ণরূপে কার্যকরী উদাহরণগুলো ব্যাখ্যা করে। উভয় উপায়ে শিক্ষার্থীদের কাজের উদাহরণগুলোর বিশদ আলোচনা করে একটি সামাজিক ইন্টারেক্টিভ সেটিংয়ে শেখার সাথে জড়িত। একটি সামাজিক সেটিংয়ে শেখা উপকরণগুলোর বোঝাপড়াকে শক্তিশালী করতে পারে কারণ শিক্ষার্থীরা উদাহরণগুলো আরও গভীরভাবে প্রসারিত করছে। একটি স্পষ্ট বোঝার জন্য তারা কাজ করা উদাহরণগুলোর সাথে তাদের যে কোনও প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করতে পারে।<ref>Mevarech, Z. R., & Kramarski, B. (2003). The Effects of Metacognitive Training versus Worked-out Examples on Students’ mathematical reasoning. ''British Journal of Educational Psychology, 73''(4), 449-471.</ref> তাই, শিক্ষার্থীদের উচিত ছোট দলে ভাগ হয়ে উদাহরণগুলো নিয়ে আলোচনা করা এবং সমস্যা সমাধানের প্রক্রিয়া প্রতিফলিত করে নতুন জ্ঞান অর্জন করা।
==== অ্যানিমেশন ====
গণিত শিক্ষায় শিক্ষার্থীদের আগ্রহ বাড়াতে অ্যানিমেশন একটি দারুণ কার্যকর শিক্ষণ উপকরণ হিসেবে বিবেচিত। যেহেতু গণিত অনেক সময় বিরক্তিকর এবং অনাকর্ষণীয় মনে হতে পারে, তাই অ্যানিমেশন শিক্ষার্থীদের মধ্যে গণিত শেখার আগ্রহ সৃষ্টি করতে পারে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, অ্যানিমেশন শিক্ষার্থীদের সমস্যা সমাধানের দক্ষতা বাড়াতে সহায়ক বলে দাবি করা হয়।<ref>Scheiter, K., Gerjets, P., & Schuh, J. (2010). The Acquisition of Problem-Solving Skills in Mathematics: How Animations Can Aid Understanding of Structural Problem Features and Solutions Procedures. ''Instructional Science, 38''(5), 487-502. doi: http://dx.doi.org.proxy.lib.sfu.ca/10.1007/s11251-009-9114-9</ref>
যেকোনো গণিত সমস্যার সমাধান করার আগে শিক্ষার্থীদের জন্য সমস্যাটি চিহ্নিত করা এবং কী সমাধান করতে হবে তা জানা গুরুত্বপূর্ণ। এই পর্যায়ে, যদি শিক্ষার্থীদের পক্ষে সমস্যাটি অনুবাদ বা বোঝা কঠিন হয়ে পড়ে, তখন অ্যানিমেশন সবচেয়ে কার্যকর হয়ে ওঠে কারণ এতে চিত্রভিত্তিক উপস্থাপনা থাকে যা শিক্ষার্থীদের জন্য প্রশ্নটি ব্যাখ্যা করা সহজ করে তোলে। বিপরীতে, যখন শিক্ষার্থীরা শুধুই সমস্যার নোট নেয়, তখন তারা কেবল পাঠ্য অনুলিপি করে, যার ফলে সমস্যার প্রকৃত অর্থ বোঝা সম্ভব হয় না। তবে যদি সমস্যার ব্যাখ্যার পাশাপাশি একটি চিত্র উপস্থাপন করা হয়, তাহলে শিক্ষার্থীরা সম্পূর্ণরূপে বুঝতে পারে সমস্যার পটভূমি।
উদাহরণস্বরূপ, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য যোগ ও বিয়োগের ধারণা পাঠ্যপাঠের মাধ্যমে বোঝানো কঠিন হতে পারে। কিন্তু, যখন একটি সমস্যার আগের ও পরের অবস্থা অ্যানিমেশনের মাধ্যমে দেখানো হয়, তখন এটি একটি পরিষ্কার ধারণা তৈরি করতে পারে। যোগ ও বিয়োগ ভিত্তিক সমস্যার ক্ষেত্রে, অ্যানিমেশন বস্তুর সংখ্যা বৃদ্ধি বা হ্রাস প্রদর্শনের মাধ্যমে সমাধান ব্যাখ্যা করতে পারে। এছাড়াও, অ্যানিমেশন বিমূর্ত গণিত তত্ত্বকে দৃশ্যমান বস্তু, নির্দিষ্ট ফলাফল এবং বাস্তব উদাহরণের মাধ্যমে উপস্থাপন করতে পারে। ফলে, অ্যানিমেশন ব্যবহার করে গণিতের বিমূর্ত ধারণাগুলোকে নির্দিষ্ট উদাহরণের সঙ্গে যুক্ত করে শেখানো যায়।<ref>Scheiter, K., Gerjets, P., & Schuh, J. (2010). The Acquisition of Problem-Solving Skills in Mathematics: How Animations Can Aid Understanding of Structural Problem Features and Solutions Procedures. ''Instructional Science, 38''(5), 487-502. doi: http://dx.doi.org.proxy.lib.sfu.ca/10.1007/s11251-009-9114-9</ref>
অ্যানিমেশন দৃশ্যমান উপস্থাপনার মাধ্যমে বিমূর্ত নীতিগুলোর অধিগ্রহণ এবং উদাহরণ বিশ্লেষণের ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে পারে। যদিও উদাহরণ বিশ্লেষণ একটি কার্যকর শিক্ষণ কৌশল হিসেবে পরিচিত, তবুও অ্যানিমেশন এই উদাহরণগুলোকে আরও উন্নত করতে পারে।<ref>Scheiter, K., Gerjets, P., & Schuh, J. (2010). The Acquisition of Problem-Solving Skills in Mathematics: How Animations Can Aid Understanding of Structural Problem Features and Solutions Procedures. ''Instructional Science, 38''(5), 487-502. doi: http://dx.doi.org.proxy.lib.sfu.ca/10.1007/s11251-009-9114-9</ref> উদাহরণ বিশ্লেষণ সব সময় চিত্র সহ হয় না, বরং কেবল পাঠ্য থাকতে পারে। তাই, যদি প্রতিটি ধাপের জন্য চিত্র উপস্থাপন থাকে, তাহলে শিক্ষার্থীরা সমস্যা ও সমাধানের বিষয়টি কল্পনা করতে পারে। শিক্ষার্থীরা ব্যাখ্যা ও চিত্রের মাধ্যমে উদাহরণগুলো আরও ভালোভাবে ব্যাখ্যা করতে পারে। ফলস্বরূপ, শিক্ষকদের উচিত অ্যানিমেশনকে একটি শিক্ষণ কৌশল হিসেবে ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের গণিত শিক্ষাকে আরও সুদৃঢ় করা।
==== রেখাচিত্র ====
তথ্যভিত্তিক রেখাচিত্র তৈরি করা একটি কঠিন কাজ, কারণ শিক্ষার্থীদের শুধু মৌখিক তথ্যকে চিত্রে রূপান্তর করলেই হয় না, বরং সংশ্লিষ্ট তথ্যগুলো চিহ্নিত ও একত্রিত করে পূর্বজ্ঞান ব্যবহার করতে হয়।<ref>van Garderen, D., Scheuermann, A., & Poch, A. (2014). Challenges students identified with a learning disability and as high-achieving experience when using diagrams as a visualization tool to solve mathematics word problems. ZDM Mathematics Education, 46, 135–149.</ref>
লারকিন এবং সাইমন বিশ্বাস করতেন যে, অনুচ্ছেদ ভিত্তিক উপস্থাপনার তুলনায় চিত্রভিত্তিক উপস্থাপন আরও সহজ ও কার্যকর, বিশেষত অনুসন্ধান, মেলানো এবং উপসংহারের ক্ষেত্রে। প্রথমত, এটি শব্দ সমস্যার উপাদানগুলোর মধ্যে টপোগ্রাফিক এবং জ্যামিতিক সম্পর্ক স্পষ্টভাবে ধরে রাখে, ফলে শিক্ষার্থীরা নির্দিষ্ট তথ্য খুঁজে পেতে সহজতর হয়। দ্বিতীয়ত, সংশ্লিষ্ট উপাদানগুলো একত্রে গোষ্ঠীবদ্ধ থাকায় এটি বিমূর্ত উপস্থাপনা ও চিত্রচিহ্নের মধ্যে সম্পর্ক পরিষ্কার করে তোলে। তৃতীয়ত, যদি সমস্যাটি চিত্র এঁকে তৈরি করা হয়, তবে মেমরি লোড কমে যায় কারণ শিক্ষার্থীরা সংশ্লিষ্ট তথ্যগুলোর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্ক স্পষ্টভাবে দেখতে পারে।<ref>Larkin, J., & Simon, H. (n.d.). Why a Diagram is (Sometimes) Worth Ten Thousand Words. Cognitive Science, 65-100.</ref>
অনেক গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে, রেখাচিত্রের ব্যবহার সমস্যার সমাধান দক্ষতা বাড়াতে পারে।
বানার্জি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের গণিত শব্দ সমস্যার সমাধানে রেখাচিত্র ব্যবহার করার প্রভাব নিয়ে একটি গবেষণা করেন। গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে, রেখাচিত্র তৈরির পদ্ধতি (যেমন রেখাচিত্র আঁকা ও লেবেলিং) গণিত সমস্যা সমাধানে শিক্ষার্থীদের অর্জন উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করে।<ref>Banerjee, B. (2011). The effects of using diagramming as a representational technique on high school students' achievement in solving math word problems. Dissertation Abstracts International Section A, 71, 394</ref>
[[চিত্র:Percentage_of_correct_answers_between_the_Japanese_and_New_Zealand_students.jpg|থাম্ব|জাপান এবং নিউজিল্যান্ডের শিক্ষার্থীদের মধ্যে রেখাচিত্র ব্যবহার করে গণিত শব্দ সমস্যার সঠিক উত্তরের শতাংশের তুলনা]]
এক গবেষণায়, উসাকা, মানালো এবং ইচিকাওয়া জাপান ও নিউজিল্যান্ডের শিক্ষার্থীদের তুলনা করেন।<ref>Uesaka, Y., Manalo, E., & Ichikawa, S. (2007). What kinds of perceptions and daily learning behaviors promote students' use of diagrams in mathematics problem solving?. Learning And Instruction, 17(3), 322-335.</ref> জাপানি শিক্ষার্থী একটি একক বস্তু ভিত্তিক রেখাচিত্র ব্যবহার করেছিল, এবং নিউজিল্যান্ডের শিক্ষার্থী দুটি মাত্রার বস্তু ব্যবহার করেছিল। গবেষণায় দেখা যায় যে, নিউজিল্যান্ডের শিক্ষার্থীদের সঠিক উত্তরের হার জাপানি শিক্ষার্থীদের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। এর কারণ হলো, রেখাচিত্র উপস্থাপনা সমস্যার বাক্যগুলোকে অবস্থানের ভিত্তিতে চিহ্নিত করে, যার ফলে শিক্ষার্থীরা নির্দিষ্ট স্থানে বিস্তারিতভাবে তথ্য পর্যবেক্ষণ করতে পারে এবং সমস্যা বুঝতে সুবিধা হয়।<ref>Uesaka, Y., Manalo, E., & Ichikawa, S. (2007). What kinds of perceptions and daily learning behaviors promote students' use of diagrams in mathematics problem solving?. Learning And Instruction, 17(3), 322-335.</ref>
শিক্ষার্থীদের রেখাচিত্র ব্যবহার করে সমস্যা সমাধানে উদ্বুদ্ধ করতে হলে, শিক্ষককে প্রথমে তাদের শেখাতে হবে— ১) রেখাচিত্র কী, ২) সমস্যার সমাধানে রেখাচিত্র ব্যবহারের গুরুত্ব, ৩) কখন রেখাচিত্র ব্যবহার করতে হবে, ৪) কোন ধরণের রেখাচিত্র কোন সমস্যায় প্রযোজ্য, ৫) কীভাবে রেখাচিত্র তৈরি করতে হয়, এবং ৬) কীভাবে রেখাচিত্র কার্যকরভাবে ব্যবহার করতে হয়। শিক্ষার্থীদের রেখাচিত্রের মৌলিক ধারণাগুলো জানা জরুরি কারণ সব গণিত সমস্যায় রেখাচিত্র প্রযোজ্য নয়। উসাকা ও মানালো দেখিয়েছেন যে শিক্ষার্থীরা সাধারণত দৈর্ঘ্য ও দূরত্ব সম্পর্কিত শব্দ সমস্যায় রেখাচিত্র ব্যবহার করে, কারণ এসব সমস্যা সাধারণত নির্দিষ্ট পরিমাণ এবং বাস্তব সম্পর্ক নিয়ে কাজ করে।<ref>Uesaka, Y., & Manalo, E. (2012). Task-related factors that influence the spontaneous use of diagrams in math word problems. Applied Cognitive Psychology, 26, 251–260.</ref>
এই ধারণাগুলো শেখানোর পর, শিক্ষকরা তিন ধাপের একটি পদ্ধতি— "জিজ্ঞাসা করো, করো, যাচাই করো"— ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ দিতে পারেন।<ref>van Garderen, D., & Scheuermann, A. (2015). Diagramming word problems: A strategic approach for instruction. Intervention in School and Clinic</ref> ভ্যান গার্ডেরেন এবং শুয়ারম্যান পরামর্শ দিয়েছেন যে শিক্ষার্থীরা প্রথমে কোন সমস্যাটি সমাধান করতে হবে তা শনাক্ত করবে; এরপর একটি রেখাচিত্র আঁকবে; শেষে রেখাচিত্র ব্যবহার করে সমস্যাটি সমাধান করবে। উদাহরণস্বরূপ, সমস্যার প্রাসঙ্গিক তথ্য খুঁজে পেতে শিক্ষার্থীরা কী-শব্দ পদ্ধতি ব্যবহার করতে পারে এবং সমস্যায় দেওয়া তথ্য সঠিকভাবে স্থাপন করতে পারে।<ref>Walker, D. W., & Poteet, J. A. (1989-90). A comparison of two methods of teaching mathematics story problem-solving with learning disabled students. National Forum of Special Education Journal, 1, 44-51.</ref>
সারসংক্ষেপে, রেখাচিত্র গণিত সমস্যার সমাধানে একটি কার্যকর কৌশল হতে পারে; এটি শিক্ষার্থীদের সমালোচনামূলক চিন্তায় সহায়তা করে এবং বিকল্প উপায়ে সমস্যার সমাধান করতে সাহায্য করে।
=== অ্যালগরিদম ===
অ্যালগরিদম হলো একাধিক ধাপের একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া যা শিক্ষার্থীদের গণিত সমস্যা সমাধানে সাহায্য করে। যদি তারা প্রতিটি ধাপ অনুসরণ করে, তাহলে তারা প্রতি বারই একটি সঠিক উত্তর বের করতে সক্ষম হয়। অ্যালগরিদম সাধারণত পুনরাবৃত্ত ক্রমের উপর ভিত্তি করে এবং এটি যোগ, বিয়োগ, গুণ ও ভাগে প্রযোজ্য। অ্যালগরিদম ব্যবহার করে শিক্ষার্থীরা প্রতিটি ধাপে কী ঘটছে তা ব্যাখ্যা করতে শেখে এবং ভুল হলে তা শনাক্ত করতে পারে। এটি তাদের সমস্যা সমাধানের সময় প্রতিটি ধাপে মনোযোগ দেওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলে। একাধিক ধাপ বিশিষ্ট সমস্যার সমাধানে, শিক্ষার্থীদের দীর্ঘমেয়াদি স্মৃতি থেকে অ্যালগরিদম স্মরণ করে মানসিকভাবে ধাপগুলো অনুসরণ করতে হয়।
শিক্ষকদের উচিত শিক্ষার্থীদের শেখানো যে অ্যালগরিদম সবসময় ধারাবাহিকভাবে সমাধান করতে হবে; কোনও ধাপ বাদ দেওয়া যাবে না। উদাহরণস্বরূপ, যখন শিক্ষার্থীরা ৫+৮×৬ সমস্যার সমাধান করে, তখন তাদের বুঝতে হবে যে প্রথমে গুণ করতে হবে, এরপর যোগ করতে হবে। যদি তারা সঠিক ক্রম অনুসরণ করে, তাহলে তারা সবসময় সঠিক উত্তর পাবে।
তবে, পল কব একটি গবেষণায় গ্রেড ১ ও ২-এর শিক্ষার্থীদের ডাবল ডিজিট যোগের সমস্যা সমাধান নিয়ে গবেষণা করেন। তিনি দেখেছেন, ১৬+৯ সমাধানে বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করে শিক্ষার্থীরা সঠিক উত্তর দিতে পেরেছে। কিন্তু যখন তাদের ঐ একই সমস্যা প্রচলিত স্কুল অ্যালগরিদম (সংখ্যা হাতে থাকা সহ) ব্যবহার করে উল্লম্বভাবে সমাধান করতে বলা হয়, তখন অনেকেই ভুল উত্তর দেয়। তিনি উপসংহার টানেন যে, প্রচলিত অ্যালগরিদমে শিক্ষার্থীরা কেবল নিয়ম অনুসরণ করতে চেষ্টা করে, কিন্তু কিভাবে অ্যালগরিদমটি কাজ করে তা প্রকৃতপক্ষে বুঝে না বলেই তাদের ভুল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।<ref>Cobb, P. (1991). Reconstructing Elementary School Mathematics. Focus on Learning Problems in Mathematics, 13(2), 3–32.</ref>
জে. এস. ব্রাউন এবং বার্টন দেখেছেন যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিক্ষার্থী ধারাবাহিকভাবে তাদের গাণিতিক সমস্যা সমাধানের জন্য এক বা একাধিক ভুল অ্যালগরিদম ব্যবহার করছে। যদিও অনেক ভুল অ্যালগরিদম সঠিক উত্তর দিতে পারে, তবুও তা সব ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।<ref>Brown, J.S., Burton, R.B. (1978). Diagnostic models for procedural bugs in basic mathematical skills. Cognitive Science, 2, 155-192</ref> উদাহরণস্বরূপ, কিছু শিশুর মনে একটি পূর্বধারণা ছিল যে বিয়োগ অ্যালগরিদম মানে হলো প্রতিটি কলামে উপরের সংখ্যাটির সঙ্গে নিচের সংখ্যাটি তুলনা করে ছোটটি বড় থেকে বিয়োগ করা, উপরের সংখ্যাটি বড় কি না, তা না জেনেই। বাম পাশের চিত্রটি ব্যাখ্যা করে কেন একটি ভুল অ্যালগরিদম সবসময় সঠিক সমাধান দিতে পারে না।
[[চিত্র:Faulty_algorithm_of_subtraction.jpg|থাম্ব|একটি চিত্র যা ব্যাখ্যা করে কেন একটি ভুল অ্যালগরিদম কাজ করে না]]
ব্রাউন এবং বার্টন উল্লেখ করেছেন, এমনকি যেসব শিশু বিয়োগের অ্যালগরিদম সম্পর্কে ভুল ধারণা পোষণ করে, তারা হয়তো মনে করে যে তারা বিয়োগ প্রক্রিয়াটি বুঝে ফেলেছে। এই ভুল ধারণা তাদের (a) ও (c) অংশে সঠিক উত্তর দিতে সাহায্য করতে পারে। কিন্তু (b) ও (d) অংশে ভুল উত্তর দিবে, কারণ সেসব ক্ষেত্রে দ্বিতীয় কলামে উপরের সংখ্যা নিচের চেয়ে ছোট।
নাগেল এবং সুইঙ্গেন মনে করেন, ধারক বা ঋণ নেওয়ার মাধ্যমে প্রচলিত অ্যালগরিদমগুলো কার্যকারিতা এবং নির্ভুলতা বাড়াতে পারে, কিন্তু শিক্ষার্থীদের বোঝার সক্ষমতা বাড়াতে ব্যর্থ হয়।<ref>Nagel, N., & Swingen, C. C. (1998). Students’ explanations of place value in addition and subtraction. Teaching Children Mathematics, 5(3), 164–170.</ref>
সুতরাং, ধারাবাহিক অ্যালগরিদম ব্যবহারে শিক্ষার্থীরা যাতে সফল হয়, এর জন্য শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের জায়গা ভিত্তিক চিন্তাশক্তি ব্যবহার করে ধাপে ধাপে সমাধান শেখানো উচিত। যেমন, সঠিকভাবে সংখ্যাগুলো সাজানো এবং ফাঁকা জায়গা রেখে লেখা শেখাতে হবে—বিশেষ করে কলামভিত্তিক বিয়োগ, একাধিক অঙ্কের গুণ ইত্যাদিতে। শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করতে হবে যেন তারা নিজের অ্যালগরিদম তৈরি করে সমস্যার সমাধান করে। শিক্ষকরা তাদের মনের মধ্যে mnemonics ব্যবহার করতে উদ্বুদ্ধ করতে পারেন; এই পদ্ধতি সমস্যার ধাপগুলো মনে রাখতে সাহায্য করে।<ref>Nelson, P. M., Burns, M. K., Kanive, R., & Ysseldyke, J. E. (2013). Comparison of a math fact rehearsal and a mnemonic strategy approach for improving math fact fluency. Journal Of School Psychology, 51(6), 659-667. doi:10.1016/j.jsp.2013.08.003</ref> যেমন, PEDMAS শিক্ষার্থীদের বলে দেয় কোন ক্রমে গাণিতিক কাজ করতে হবে। শুধু বাম থেকে ডানে গাণিতিক অপারেশন করলেই চলবে না, আগে বন্ধনীর কাজ শেষ করতে হবে।<ref>Jeon, K. (2012). Reflecting on PEMDAS. Teaching Children Mathematics, 18(6), 370-377.</ref> পাশাপাশি শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করবেন যেন তারা প্রথমে পুরো সমস্যাটি পড়ে বোঝে, এরপর সেটিকে ছোট ছোট অংশে ভাগ করে কোন অংশে কোন অ্যালগরিদম লাগবে তা নির্ধারণ করে। প্রতিটি ধাপে তাদের উত্তর পুনর্বিবেচনা করতে শেখানো উচিত। ধাপগুলো লিখে রাখলে শিক্ষার্থীরা ভুল ধরতে পারে এবং শেষ পর্যন্ত সঠিক সমাধানে পৌঁছাতে পারে।
=== শব্দভিত্তিক সমস্যার কৌশল ===
শব্দভিত্তিক সমস্যা সব শিশুদের জন্যই একটি বিশেষ ধরণের চ্যালেঞ্জ, তবে যাদের সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে শেখার অসুবিধা রয়েছে, তাদের জন্য এটি আরও কঠিন। গাণিতিক সমস্যা ও শব্দভিত্তিক সমস্যার মধ্যে প্রধান পার্থক্য হলো ভাষাগত তথ্যের সংযুক্তি। অর্থাৎ, শিশুদের প্রথমে সমস্যাটির লেখা পড়ে প্রাসঙ্গিক তথ্য বাছাই করে সেটিকে সংখ্যাগত সমস্যায় রূপান্তর করতে হয়। এরপর তাদের নির্ধারণ করতে হয় কোন তথ্যটি প্রয়োজনীয় এবং কোনটি অনুপস্থিত।
শব্দভিত্তিক সমস্যা অনেক শিক্ষার্থীর জন্য বোঝা কঠিন, তবে সমস্যাটি আরও জটিল হয় যখন শিক্ষার্থীর প্রথম ভাষা ইংরেজি না হয়। Jan এবং Rodrigues (2012)<ref>Jan, S. and Rodrigues, S., (2012). Students' difficulties in comprehending mathematical word problems in English language learning contexts. International Researcher, Vol. 1, Issue 3, Accessed Dec 4, 2015 from http://www.academia.edu/2078056/STUDENTS_DIFFICULTIES_IN_COMPREHENDING_MATHEMATICAL_WORD_PROBLEMS_IN_ENGLISH_LANGUAGE_LEARNING_CONTEXTS</ref> এর মতে, যাদের ইংরেজি দ্বিতীয় ভাষা, তারা ভাষাগত প্রতিবন্ধকতার কারণে সমস্যার বক্তব্য বুঝতে পারে না। তারা প্রায়শই মূল শব্দের উপর নির্ভর করে অথবা বক্তব্য ভুল ব্যাখ্যা করে, ফলে ভুল সমাধান আসে। মূল শব্দের উপর নির্ভরশীলতা শিক্ষার্থীদের সমস্যা বোঝা থেকে বিচ্যুত করে। "মূল শব্দের ব্যবহার দৈনন্দিন ভাষা ও গাণিতিক ভাষার মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি করতে পারে।"<ref>Jan, S. and Rodrigues, S., (2012). Students' difficulties in comprehending mathematical word problems in English language learning contexts. International Researcher, Vol. 1, Issue 3, P. 156, Accessed Dec 4, 2015 from http://www.academia.edu/2078056/STUDENTS_DIFFICULTIES_IN_COMPREHENDING_MATHEMATICAL_WORD_PROBLEMS_IN_ENGLISH_LANGUAGE_LEARNING_CONTEXTS</ref>
এই গবেষণার ফলাফল থেকে জানা যায় যে শ্রেণিকক্ষে আলোচনা বা ছোট ছোট দলের আলোচনা শিক্ষার্থীদের সমস্যাটি কী এবং কী জানতে চাওয়া হচ্ছে তা পরিষ্কারভাবে বুঝতে সাহায্য করে। শিক্ষার্থীদের পড়া, বোঝা, মতামত বিনিময় এবং বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে সমস্যা ও সমাধান নিয়ে চিন্তা করার সুযোগ দিলে তারা সমস্যাটি আরও ভালোভাবে বুঝতে পারে।
শব্দভিত্তিক সমস্যা শেখানোর ক্ষেত্রে শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের যথেষ্ট সুযোগ দেবেন যেন তারা সমস্যার অর্থ নিয়ে চিন্তা ও আলোচনা করতে পারে এবং সহপাঠীদের সঙ্গে মিলে একাধিক সমাধান ভাবতে পারে। এই পদ্ধতি ভাষাগত সমস্যাযুক্ত শিক্ষার্থী এবং গাণিতিক শেখার সমস্যাযুক্ত শিক্ষার্থীদের জন্য কার্যকর।
শিক্ষা প্রতিবন্ধী পরিষ <ref>http://www.council-for-learning-disabilities.org/mathematics-disabilities</ref> সমস্যা সমাধানে শিক্ষার্থীদের শেখানোর জন্য কিছু কৌশল প্রস্তাব করে:
''ফাস্ট ড্র'' (মার্সার এবং মিলার, ১৯৯২): আপনি কী সমাধান করছেন তা খুঁজে বের করুন।
নিজেকে জিজ্ঞাসা করুন, "সমস্যাটির অংশগুলি কী?"
সংখ্যাগুলি সেট আপ করুন।
চিহ্নটি বেঁধে দিন।
চিহ্নটি আবিষ্কার করুন।
সমস্যাটি পড়ুন।
উত্তর দিন, অথবা আঁকুন এবং পরীক্ষা করুন।
উত্তর লিখুন।
<nowiki>''প্রশ্ন এবং ক্রিয়া''</nowiki> (রিভেরা, ১৯৯৪)
পদক্ষেপ
ক. সমস্যাটি পড়ুন।
প্রশ্ন
এমন কোন শব্দ আছে যা আমি জানি না?
আমি কি প্রতিটি শব্দের অর্থ জানি?
আমার কি সমস্যাটি পুনরায় পড়ার প্রয়োজন?
সংখ্যার শব্দ আছে?
ক্রিয়া
শব্দগুলি নিম্নরেখাঙ্কিত করুন।
সংজ্ঞাগুলি খুঁজে বের করুন।
পুনরায় পড়ুন।
নিম্নরেখাঙ্কিত করুন।
খ. সমস্যাটি পুনরায় বর্ণনা করুন।
কোন তথ্য গুরুত্বপূর্ণ?
কোন তথ্যের প্রয়োজন নেই?
প্রশ্নটি কী জিজ্ঞাসা করা হচ্ছে?
নিম্নরেখাঙ্কিত করুন।
ক্রস আউট করুন।
নিজের শব্দে লিখুন।
গ. একটি পরিকল্পনা তৈরি করুন।
তথ্যগুলো কী কী?
সেগুলো কীভাবে সংগঠিত করা যেতে পারে?
কত ধাপ আছে?
আমি কোন কোন ক্রিয়াকলাপ ব্যবহার করব?
একটি তালিকা তৈরি করুন।
চার্ট তৈরি করুন।
কৌশল ব্যবহার করুন।
ছোট সংখ্যা ব্যবহার করুন।
একটি ক্রিয়াকলাপ নির্বাচন করুন।
ঘ. সমস্যাটি গণনা করুন।
আমি কি সঠিক উত্তর পেয়েছি?
অনুমান করুন।
অংশীদারের সাথে পরীক্ষা করুন।
ক্যালকুলেটর দিয়ে যাচাই করুন।
ঙ. ফলাফল পরীক্ষা করুন।
আমি কি প্রশ্নের উত্তর দিয়েছি?
আমার উত্তর কি যুক্তিসঙ্গত বলে মনে হচ্ছে?
আমি কি প্রশ্ন/উত্তর পুনঃবক্তৃতা করতে পারি?
প্রশ্ন/উত্তর পরীক্ষা করুন।
একটি সংখ্যা বাক্য লিখুন।
৩. <nowiki>''টিআইএনএস কৌশল''</nowiki> (ওওয়েন, ২০০৩)
শব্দ সমস্যা বিশ্লেষণ এবং সমাধানের জন্য ব্যবহৃত বিভিন্ন পদক্ষেপ এই সংক্ষিপ্ত রূপ দিয়ে উপস্থাপন করা হয়েছে।
চিন্তা: এই সমস্যা সমাধানের জন্য আপনার কী করতে হবে তা নিয়ে ভাবুন এবং মূল শব্দগুলিকে বৃত্তাকার করুন।
তথ্য: এই সমস্যা সমাধানের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য বৃত্তাকার করুন এবং লিখুন; একটি ছবি আঁকুন; অপ্রয়োজনীয় তথ্য বাদ দিন।
সংখ্যা বাক্য: সমস্যাটি উপস্থাপনের জন্য একটি সংখ্যা বাক্য লিখুন।
সমাধান বাক্য: আপনার উত্তর ব্যাখ্যা করে এমন একটি সমাধান বাক্য লিখুন।
উদাহরণ: কাইল ৬টি বেসবল কার্ড কিনেছে। পরের দিন, সে তার সংগ্রহে আরও ১১টি কার্ড যোগ করেছে। তার কাছে মোট কতটি কার্ড আছে?
চিন্তা: +
তথ্য: ৬টি বেসবল কার্ড, ১১টি বেসবল কার্ড
সংখ্যা বাক্য: ৬ + ১১ =
সমাধান বাক্য: কাইলের সংগ্রহে ১৭টি বেসবল কার্ড রয়েছে।
৪. <nowiki>''সমস্যা সমাধান''</nowiki> (বীরশ, লিয়ন, ডেনকলা, অ্যাডামস, মোটস এবং স্টিভস, ১৯৯৭)
প্রথমে সমস্যাটি পড়ো।
প্রশ্নটি হাইলাইট করো।
গুরুত্বপূর্ণ তথ্য চিহ্নিত করো।
একটি পরিকল্পনা তৈরি করো।
সংখ্যাগুলো বোঝাতে চিত্র বা বস্তু ব্যবহার করো।
পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করো।
তোমার কাজ যাচাই করো।
==== বীজগণিত শেখানোর জন্য কগনিটিভ টিউটর ====
১৯৮৫ সালে, অ্যান্ডারসন, বয়েল এবং রেইজার বুদ্ধিমান শেখানোর পদ্ধতিতে কগনিটিভ মনস্তত্ত্ব যুক্ত করেন। এরপর থেকে এই পদ্ধতির মাধ্যমে ছাত্রদের শেখানোর জন্য কগনিটিভ মডেল তৈরি করা হয়। এ নাম রাখা হয় কগনিটিভ টিউটরস।<ref name="anderson et al. 1995">Anderson, J. R., Corbett, A. T., Koedinger, K. R., & Pelletier, R. (1995). Cognitive Tutors: Lessons learned. Journal of the Learning Sciences, 4(2), 167.</ref> সবচেয়ে জনপ্রিয় কগনিটিভ টিউটর হলো Cognitive Tutor® Algebra I।<ref name="k&c, 2006">Koedinger, K. R., & Corbett, A. (2006). Cognitive tutors. The Cambridge handbook of the learning sciences, 61-77.</ref> এটি তৈরি করেছে কার্নেগি লার্নিং, ইনকর্পোরেটেড। তারা এখন বীজগণিত I, II, বীজগণিতের সেতু, জ্যামিতি এবং ইন্টিগ্রেটেড ম্যাথ I, II, III সহ সম্পূর্ণ Cognitive Tutor® তৈরি করছে। Cognitive Tutor®-এ এখন স্প্যানিশ মডিউলও যুক্ত হয়েছে।
==== কীভাবে শেখাতে হবে ====
দুটি অন্তর্নির্মিত অ্যালগরিদম—'''''মডেল ট্রেসিং''''' এবং '''নলেজ ট্রেসিং''' শিক্ষার্থীদের শেখার প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করতে সাহায্য করে। মডেল ট্রেসিং শিক্ষার্থীর প্রতিটি ধাপের ভিত্তিতে ঠিক সময়ে প্রতিক্রিয়া, অনুরোধে পরামর্শ এবং বিষয়ভিত্তিক দিকনির্দেশনা দেয়।<ref name="anderson et al. 1995" /> Knowledge tracing প্রতিটি শিক্ষার্থীর পূর্বজ্ঞান অনুযায়ী শেখার কাজ নির্ধারণ করে।<ref name="anderson et al. 1995" /><ref name="k&c, 2006" />
তোমরা ''[http://en.wikibooks.org/wiki/Cognition_and_Instruction/Problem_Solving,_Critical_Thinking_and_Argumentation Problem Solving, Critical Thinking, and Argumentation]'' অধ্যায়ের (2.5.2 Theoretical background of Cognitive Tutor) অংশে গিয়ে বিস্তারিত জানতে পারো কীভাবে কগনিটিভ টিউটর বীজগণিত শেখাতে সাহায্য করে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া, অনুরোধভিত্তিক পরামর্শ, বিষয়ভিত্তিক নির্দেশনা ও ব্যক্তিকৃত কাজের মাধ্যমে।
==== Cognitive Tutor® Algebra I এর মিশ্র প্রভাব ====
কগনিটিভ টিউটরের কার্যকারিতা নিয়ে পূর্ববর্তী গবেষণার প্রমাণ থেকে দেখা যায়, শ্রেণিকক্ষে শিক্ষকের পাঠদানের তুলনায় কগনিটিভ টিউটর অধিক কার্যকর।<ref name="anderson et al. 1995" /><ref>Koedinger, K. R. & Anderson, J. R. (1993). Effective use of intelligent software in high school math classrooms. In Proceedings of the World Conference on Artificial Intelligence in Education, (pp. 241-248). Charlottesv</ref><ref name="K&A&M">Koedinger, K., Anderson, J., Hadley, W., & Mark, M. (1997). Intelligent tutoring goes to school in the big city. Human-Computer Interaction Institute.</ref><ref>Corbett, A. T., & Anderson, J. R. (2001). Locus of feedback control in computer-based tutoring: Impact on learning rate, achievement and attitudes. In Proceedings of the SIGCHI Conference on Human Factors in Computing Systems (pp. 245–252). New York, NY, USA: ACM.</ref>
তবে, ইউএস ডিপার্টমেন্ট অফ এডুকেশনের ইনস্টিটিউট অব এডুকেশন সায়েন্সেস দ্বারা প্রতিষ্ঠিত একটি সাম্প্রতিক স্বাধীন ও বৃহৎ আকারের গবেষণা ''ক্লিয়ারিংহাউস কী কাজ করে''<ref>What Works Clearinghouse (ED). (2016). Carnegie Learning Curricula and Cognitive Tutor[R]. What Works Clearinghouse Intervention Report. What Works Clearinghouse.</ref> Cognitive Tutor® Algebra I সম্পর্কিত ২২টি গবেষণার মধ্যে ৬টি পর্যালোচনা করে, যেখানে ৮ম থেকে ১৩শ গ্রেড পর্যন্ত ১২,৮৪০ জন শিক্ষার্থীকে অন্তর্ভুক্ত করা হয় ১১৮টি স্থানে। গবেষকরা দেখতে পান, Cognitive Tutor® Algebra I এর অ্যালজেব্রা শেখার ক্ষেত্রে মিশ্র ফলাফল পাওয়া গেছে এবং মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের সাধারণ গণিত দক্ষতার ওপর কোনও উল্লেখযোগ্য বা প্রাসঙ্গিক প্রভাব দেখা যায়নি।
মরগান এবং রিটার,<ref>Morgan, P., & Ritter, S. (2002). An experimental study of the effects of Cognitive Tutor® Algebra I on student knowledge and attitude. Pittsburgh, PA: Carnegie Learning, Inc.</ref> ওকলাহোমার মুর শহরের পাঁচটি ভিন্ন স্কুলে নবম শ্রেণির অ্যালজেব্রা ক্লাসে একটি অভ্যন্তরীণ শিক্ষক-ভিত্তিক পরীক্ষামূলক গবেষণা পরিচালনা করেন। এই গবেষণায় প্রতিটি শিক্ষককে অন্তত একটি Cognitive Tutor® Algebra I ইন্টিগ্রেটেড ক্লাসরুম এবং একটি ঐতিহ্যবাহী ক্লাসরুমের দায়িত্ব দেওয়া হয়। ফলাফল থেকে জানা যায়, যারা Cognitive Tutor® ব্যবহার করে শিখেছিল তারা অন্যান্য শিক্ষার্থীদের তুলনায় ভালো ফল করেছিল এবং গণিত বিষয়ে আরও আত্মবিশ্বাসী ও ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছিল।
কাবালো, জাকিউ এবং ভু<ref>Cabalo, J. V., Jaciw, A., & Vu, M. (2007). Comparative effectiveness of Carnegie Learning’s Cognitive Tutor® Algebra I curriculum: A report of a randomized experiment in the Maui School District. Palo Alto, CA: Empirical Education, Inc.</ref> হাওয়াইয়ের মাউই কাউন্টির পাঁচটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে Cognitive Tutor® Algebra I এর কার্যকারিতা পর্যালোচনার জন্য একটি র্যান্ডমাইজড গবেষণা পরিচালনা করেন। ছয় মাসের ব্যবহারের পর ২০০৫-০৬ শিক্ষাবর্ষের শেষে শিক্ষার্থীদের NWEA বীজগণিত কোর্স সমাপ্তির অর্জন স্তর পরীক্ষা দিতে বলা হয়। ফলাফল থেকে জানা যায়, শিক্ষার্থীরা সাধারণভাবে Cognitive Tutor® সফটওয়্যার সম্পর্কে ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করে এবং সফটওয়্যার ব্যবহার করুক বা না করুক, বেশিরভাগ শিক্ষার্থীর গণিতে উন্নতি দেখা যায়। তবে, যারা আগে দুর্বল ছিল, তারা ব্যবহার শুরু করার পর উল্লেখযোগ্য উন্নতি করে, যা তুলনামূলকভাবে উচ্চ স্কোরধারীদের চেয়ে বেশি ছিল।
ক্যাম্পুজানো, ডিনারস্কি, আগোদিনি এবং রাল<ref>Campuzano, L., Dynarski, M., Agodini, R., & Rall, K. (2009). The effectiveness of reading and mathematics software products: Findings from two student cohorts. Washington, DC: U.S. Department of Education, Institute of Education Sciences.</ref> একটি ২ বছরব্যাপী কংগ্রেস-অনুমোদিত গবেষণা পরিচালনা করেন প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষণপদ্ধতির কার্যকারিতা যাচাইয়ের জন্য, যার দ্বিতীয় বছরে নয়টি দরিদ্র স্কুলে Cognitive Tutor® Algebra I ব্যবহার করা হয়। গবেষকরা র্যান্ডম কন্ট্রোল ট্রায়াল পদ্ধতি গ্রহণ করেন এবং শিক্ষকদের র্যান্ডমভাবে সফটওয়্যার ব্যবহারে অথবা প্রচলিত পাঠ্যক্রমে ভাগ করে দেন। সব শিক্ষার্থীদের শরৎ ও বসন্তকালে ETS End-of-Course পরীক্ষায় অংশ নিতে হয়। দ্বিতীয় বছরে সফটওয়্যার ব্যবহারকারী শিক্ষার্থীরা প্রথম বছরের তুলনায় উল্লেখযোগ্য উন্নতি দেখায়, যদিও পরীক্ষার স্কোরে হস্তক্ষেপকারী ও তুলনামূলক দলের মধ্যে পার্থক্য ছিল সামান্য (p<0.3)।
প্যান, গ্রিফিন, ম্যাককাফ্রে এবং কারাম<ref>Pane, J. F., Griffin, B. A., McCaffrey, D. F., Karam, R., Daugherty, L., & Phillips, A. (2013). Does an algebra course with tutoring software improve student learning?.</ref> Cognitive Tutor® যুক্ত অ্যালজেব্রা পাঠ্যক্রমের কার্যকারিতা নিরীক্ষার জন্য র্যান্ডম কন্ট্রোল ট্রায়াল পদ্ধতি গ্রহণ করেন। গবেষণা দুটি ধারাবাহিক শিক্ষাবর্ষজুড়ে চলে এবং সফটওয়্যারটি সপ্তাহে তিন দিন শিক্ষক-নির্দেশিত ক্লাসে এবং দুই দিন কম্পিউটার-নির্দেশিত ক্লাসে ব্যবহৃত হয়। প্রথম বছর হাইস্কুল শিক্ষার্থীদের মধ্যে হস্তক্ষেপকারী ও তুলনামূলক দলের মধ্যে শিক্ষাগত সাফল্যে তেমন পার্থক্য দেখা যায়নি (p<0.46)। তবে দ্বিতীয় বছরে Cognitive Tutor® ব্যবহারের ইতিবাচক প্রভাবের প্রমাণ শক্তিশালী ছিল (p<0.04), এবং হস্তক্ষেপকারী দলে যেসব শিক্ষার্থীর সাফল্য আগে কম ছিল, তাদের অগ্রগতি বেশি ছিল।
== শব্দকোষ ==
'''অ্যালগরিদম''' হলো গাণিতিক সমস্যার সমাধানে ব্যবহৃত একাধিক ধাপবিশিষ্ট একটি প্রক্রিয়া, যা সঠিকভাবে প্রয়োগ করলে সঠিক সমাধান প্রদান করে।
'''প্রয়োগ''' ঘটে যখন শিক্ষার্থীরা গাণিতিক ধারণার সঙ্গে দৈনন্দিন জীবনের ঘটনার সম্পর্ক স্থাপন করতে পারে।
'''স্পষ্টীকরণ''' ঘটে যখন শিক্ষার্থীরা কোনো সমস্যার বিভিন্ন দিক চিহ্নিত ও বিশ্লেষণ করে, ফলে তারা সমস্যার সমাধানে প্রয়োজনীয় তথ্য ব্যাখ্যা করতে পারে।
'''শ্রেণিবিন্যাস''' হলো একই রকম বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী বস্তুগুলোকে গোষ্ঠীবদ্ধ করার ক্ষমতা।
'''ধারণাগত জ্ঞান''' হলো মানসিক গঠন যা শিক্ষার্থীদের যুক্তি ও গাণিতিক ধারণা বোঝার ভিত্তি তৈরি করে।
'''ঘোষণামূলক জ্ঞান''' হলো সেই গাণিতিক ধারণা যা দীর্ঘমেয়াদি স্মৃতি থেকে আহরণ করা হয় এবং যেগুলো ব্যবহার করে জটিল সমস্যা সমাধান করা যায়।
'''মূল্যায়ন''' ঘটে যখন শিক্ষার্থীরা একটি নির্দিষ্ট মানদণ্ড অনুসারে সমস্যার সমাধানের সঠিকতা নির্ধারণ করতে পারে।
'''অনুমান''' ঘটে যখন শিক্ষার্থীরা সাধারণ ধারণা নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে প্রয়োগ করে এবং বস্তুসমূহের মধ্যে পার্থক্য ও সাদৃশ্য নির্ধারণ করতে পারে।
'''অন্তঃপ্রণোদনা''' হলো এমন একটি অভ্যন্তরীণ ইচ্ছা যা শিক্ষার্থীদের নিজেদের আগ্রহে কোনো কাজ করতে উদ্বুদ্ধ করে।
'''মেটাকগনিটিভ''' হলো নিজের চিন্তা ও শেখার নিয়ন্ত্রণে ব্যবহৃত জ্ঞান।
'''পদ্ধতিগত জ্ঞান''' হলো সমস্যা সমাধানের কৌশলের ধাপসমূহ সম্পর্কে জ্ঞান।
'''ক্রমবিন্যাস''' হলো বস্তুগুলোর আকার অনুযায়ী (যেমন: দৈর্ঘ্য, ওজন, আয়তন) ছোট থেকে বড় বা বড় থেকে ছোটভাবে সাজানোর ক্ষমতা।
'''স্বনিয়ন্ত্রিত শেখা''' হলো নিজের শেখা নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা, শুরু থেকে নিজের পারফরম্যান্স মূল্যায়ন পর্যন্ত।
'''স্বল্পমেয়াদী স্মৃতি''' এমন তথ্য সাময়িকভাবে ধারণ করে যা ব্যবহৃত হবে, তবে তা পরিবর্তিত হবে না।
'''কার্যকরী স্মৃতি''' হলো একটি ব্যবস্থাপনা যা নতুন বা পূর্ববর্তী তথ্যকে অস্থায়ীভাবে ধরে রাখে, যাতে তা বর্তমান কাজে ব্যবহার করা যায়।
== প্রস্তাবিত পাঠ ==
# নবীন শিক্ষকদের গণিতের সমস্যা সমাধানের বিশ্বাস এবং উপলব্ধির একটি কেস স্টাডি। ''Baker, C. K. (২০১৫)। নবীন শিক্ষকদের গণিতের সমস্যা সমাধানের বিশ্বাস এবং উপলব্ধির একটি কেস স্টাডি। গবেষণামূলক অ্যাবস্ট্রাক্ট ইন্টারন্যাশনাল সেকশন এ, ৭৫''
# পাইগেট এবং ভাইগটস্কি: অনেক সাদৃশ্য, এবং একটি গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য। ''Lourenço, O. (২০১২)। পাইগেট এবং ভাইগটস্কি: অনেক সাদৃশ্য, এবং একটি গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য। মনোবিজ্ঞানে নতুন ধারণা, ৩০ (৩), ২৮১-২৯৫। doi:10.1016/j.newideapsych.2011.12.006''
== তথ্যসূত্র ==
* ফুচস, এলএস, ফুচস, ডি, স্টুবিং, কে, ফ্লেচার, জেএম, হ্যামলেট, সিএল, এবং ল্যামবার্ট, ডাব্লু (২০০৮)। সমস্যা সমাধান এবং গণনামূলক দক্ষতা: তারা গাণিতিক জ্ঞানের ভাগ বা স্বতন্ত্র দিক? শিক্ষাগত মনোবিজ্ঞান জার্নাল ১০০ (১), ৩০
* হানিচ, এলবি, জর্ডান, এনসি, কাপলান, ডি, এবং ডিক, জে (২০০১)। "শেখার প্রতিবন্ধী শিশুদের মধ্যে গাণিতিক জ্ঞানের বিভিন্ন ক্ষেত্র জুড়ে পারফরম্যান্স"। শিক্ষাগত মনোবিজ্ঞান জার্নাল, ৯৩, ৬১৫–৬২৬।
* রাউর্ক, বিপি, এবং ফিনলেসন, এমএজে (১৯৭৮)। "একাডেমিক দক্ষতার নিদর্শনগুলোর বিভিন্নতার নিউরোপাইকোলজিকাল তাত্পর্য: মৌখিক এবং ভিজ্যুয়াল-স্থানিক ক্ষমতা"। অস্বাভাবিক শিশু মনোবিজ্ঞান জার্নাল, ৬, ১২১–১৩৩।
* সোয়ানসন, এইচএল, এবং বিবে-ফ্রাঙ্কেনবার্গার, এম (২০০৪)। "গুরুতর গণিতের অসুবিধার ঝুঁকিতে থাকা এবং ঝুঁকিতে থাকা শিশুদের মধ্যে কার্যকর স্মৃতি এবং গাণিতিক সমস্যা সমাধানের মধ্যে সম্পর্ক"। শিক্ষাগত মনোবিজ্ঞান জার্নাল, ৯৬, ৪৭১–৪৯১।
* সোয়ানসন, এইচ এল (২০০৩)। "শেখার অক্ষম এবং দক্ষ পাঠকদের কাজের মেমরিতে বয়স-সম্পর্কিত পার্থক্য"। পরীক্ষামূলক শিশু মনোবিজ্ঞান জার্নাল, ৮৫, ১–৩১।
{{সূত্র তালিকা}}{{সূত্র তালিকা}}
jrviv3nxsihng9v0je8irycmtq1fu4o
চিন্তন ও নির্দেশনা/এনকোডিং ও পুনরুদ্ধার
0
26206
84704
83972
2025-06-17T23:53:23Z
MS Sakib
6561
/* স্ক্যাফোল্ডিং সংক্রান্ত নির্দেশনা */
84704
wikitext
text/x-wiki
এই অধ্যায়ে এনকোডিং ও রিট্রিভালের (পুনরুদ্ধার) মতো জ্ঞানীয় প্রক্রিয়াগুলোর ভূমিকা এবং শিক্ষায় এগুলোর প্রভাব আলোচনা করা হবে। এনকোডিং বলতে বোঝানো হয় কর্মক্ষম স্মৃতিতে থাকা তথ্যকে দীর্ঘমেয়াদী স্মৃতিতে রূপান্তরের প্রক্রিয়া। রিট্রিভাল হলো এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা দীর্ঘমেয়াদী স্মৃতিতে সংরক্ষিত তথ্যকে পুনরুদ্ধার করে সচেতন চিন্তায় বা কর্মক্ষম স্মৃতিতে নিয়ে আসে।<ref name="Bruning2011">Bruning, R., & Schraw, G. (2011). Cognitive psychology and instruction (5th ed.). Pearson Education.</ref> এই দুটি জ্ঞানীয় প্রক্রিয়ার কার্যপ্রণালি, সাধারণ উদাহরণ এবং বিভিন্ন উদ্দেশ্য ও প্রেক্ষাপটে তথ্য এনকোড, সংরক্ষণ ও রিট্রিভ করার কার্যকর কৌশল নিয়ে আলোচনা করা হবে।
__TOC__
== এনকোডিং প্রক্রিয়া ==
আমরা এনকোডিংয়ের দুটি মূল দিক নিয়ে আলোচনা করব। প্রথমত, তথ্য কীভাবে স্মৃতিতে রূপান্তরিত হয় তা বিশ্লেষণ করব এবং দ্বিতীয়ত, এই প্রক্রিয়াকে সহজতর করার জন্য যেসব কৌশল ব্যবহার করা যায় সেগুলো নিয়ে আলোচনা করব। আমরা যে তথ্য শিখতে চেষ্টা করি তার একটি অংশ স্বয়ংক্রিয়ভাবে এনকোড হয়; বাকি অংশকে দীর্ঘমেয়াদী স্মৃতিতে স্থানান্তরের জন্য সচেতন প্রচেষ্টা প্রয়োজন। আমরা কীভাবে তথ্য মনে রাখি এবং স্মৃতি থেকে পুনরায় মনে করি, তা মূলত নির্ভর করে সেই তথ্য কীভাবে প্রাথমিকভাবে এনকোড করা হয়েছিল তার উপর। [[File:Memory Process.png|thumb|মেমরি সিস্টেমের একটি সাধারণ উপস্থাপনা]]
তথ্য ডিকোড করার আগে সেটিকে আমাদের দীর্ঘমেয়াদী স্মৃতিতে স্থানান্তর করতে হয়, যেটিকে এনকোডিং বলা হয় <ref name="Bruning2011"/>। শিক্ষার্থীরা শিখতে থাকা তথ্য সফলভাবে এনকোড করার জন্য বিভিন্ন কৌশল ব্যবহার করতে পারে। সহজ তথ্য এনকোড করার জন্য তিনটি স্বতন্ত্র কৌশল ব্যবহার করা যেতে পারে। এলাবোরেটিভ রিহার্সাল, যার সংজ্ঞা হলো “যেকোনো ধরনের রিহার্সাল যেখানে মনে রাখার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্যকে অন্যান্য তথ্যের সাথে সম্পর্কিত করা হয়”, এটি মেইনটেইনেন্স রিহার্সাল-এর চেয়ে গভীর এনকোডিং কৌশল, যেখানে কেবল তথ্যের পুনরাবৃত্তি করা হয় <ref name="Bruning2011"/>। মেডিয়েশন বা মধ্যস্থতা হলো একটি সহজ এলাবোরেটিভ এনকোডিং কৌশল, যেখানে কঠিন তথ্যকে কোনো অর্থবহ জিনিসের সাথে সম্পর্কিত করা হয় <ref name="Bruning2011"/>। আরেকটি বহুল ব্যবহৃত কৌশল হলো নিমোনিক্স, যেখানে নতুন তথ্যকে পূর্বে শেখা তথ্যের সাথে জোড়া লাগানো হয়। এতে নতুন তথ্যের একটি অর্থ তৈরি হয় এবং তা মনে রাখা সহজ হয় <ref name="Bruning2011"/>। বেশি জটিল তথ্য এনকোড করার জন্য আরও কিছু কৌশল যেমন পূর্বজ্ঞান সক্রিয় করা, KWL এবং ধারণা মানচিত্র ব্যবহার করা হয়, কারণ এগুলোর মাধ্যমে আরও গভীর অর্থবোধ তৈরি হয় এবং ব্যক্তিগত বোঝাপড়ার সাথে সংযোগ গড়ে ওঠে <ref name="Bruning2011"/>।
=== সহজ তথ্য এনকোডিং ===
আমরা যেসব তথ্য শিখতে চেষ্টা করি তার জটিলতা ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে, তথ্যের জটিলতা নির্ধারণ করে একজন ব্যক্তি কীভাবে তা শিখবে। কিছু তথ্য খুব সহজ (যেমন, 'সান্দ্রা ১০ বছর বয়সী'), আবার কিছু তথ্য অনেক বেশি জটিল এবং তা পুরোপুরি বোঝার জন্য বিশ্লেষণমূলক চিন্তা প্রয়োজন (যেমন, রাজনৈতিক ঘটনার উপর একটি সংবাদ প্রতিবেদন)। ভিন্ন ধরনের তথ্য শেখার জন্য ভিন্ন কৌশল দরকার হয়, তাই শিক্ষার্থীর জন্য সঠিক কৌশল বেছে নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। এই অংশে আমরা সহজ তথ্য মনে রাখার জন্য ব্যবহৃত কৌশলগুলো আলোচনা করব।
==== রিহার্সাল ====
সহজ তথ্য এনকোড করার প্রথম কৌশল হলো '''রিহার্সাল''' বা মহড়া। একটি উদাহরণ হতে পারে পরীক্ষার জন্য পড়াশোনা করা কোনো শিক্ষার্থীর প্রক্রিয়া। আমরা রিহার্সালের দুটি ধরণ নিয়ে আলোচনা করব: '''মেইনটেইনেন্স রিহার্সাল''' বা রক্ষণাবেক্ষণ মহড়া এবং '''এলাবোরেটিভ রিহার্সাল''' বা বিস্তারিত মহড়া। '''মেইনটেইনেন্স রিহার্সাল''' একটি অগভীর প্রক্রিয়া এবং সাধারণত সহজ কাজের জন্য উপযোগী, যেমন ফোন নম্বর মনে রাখা।<ref name="Bruning2011"/> মেইনটেইনেন্স রিহার্সাল এ কোনো তথ্যের উপর বারবার মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করে তা স্বল্পমেয়াদী স্মৃতিতে ধরে রাখা হয়। কিন্তু, যদি এই পুনরাবৃত্তি ব্যাহত হয়, তাহলে তথ্য সহজেই ভুলে যাওয়া যায়, তাই এটি দীর্ঘমেয়াদী মনে রাখার জন্য কার্যকর নয়। তুলনামূলকভাবে জটিল তথ্য বা ভবিষ্যতে তথ্য মনে রাখার জন্য '''এলাবোরেটিভ রিহার্সাল''' বেশি কার্যকর। এটি নতুন তথ্যকে পূর্বের জ্ঞান বা অভিজ্ঞতার সাথে সম্পর্কিত করে। যখন শিক্ষার্থীরা নতুন তথ্যকে পূর্বের অভিজ্ঞতার সাথে সংযুক্ত করে, তখন তারা তথ্য বেশি দিন মনে রাখতে এবং ভবিষ্যতে তা সহজে পুনরুদ্ধার করতে পারে <ref name="Bruning2011"/>। গবেষণায় দেখা গেছে যে elaborative এনকোডিং ব্যবহার করে দীর্ঘমেয়াদী তথ্য সংরক্ষণ উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ে <ref name="Bruning2011"/>।
==== নিমোনিক্স ====
[[File:Mnemonics.tif|right|নিমোনিক্স]]
'''নিমোনিক্স''' বা স্মৃতিবিদ্যা হলো অপরিচিত ধারণা শেখার জন্য ব্যবহৃত কৌশল। এগুলো অপরিচিত তথ্য এনকোড করার সম্ভাবনা বাড়ায়। নিমোনিক্সে অপরিচিত ধারণাকে পরিচিত ধারণার সাথে জুড়ে দেওয়া হয়, যাতে তা মনে রাখা সহজ হয়। এটি তথ্যকে সহজবোধ্য বা অর্থবহ রূপে রূপান্তর করে।<ref name="Putnam2015"> Putnam, A. L. (2015). Mnemonics in education: Current research and applications. Translational Issues In Psychological Science, 1(2), 130-139. doi:10.1037/tps0000023</ref> বার্নিং ও তার সহকর্মীরা নিমোনিক্সকে এমন কৌশল হিসেবে বর্ণনা করেছেন যা নতুন তথ্যের অধিক বিস্তৃত কোডিং তৈরি করে এবং শক্তিশালী স্মৃতি তৈরি করে <ref name="Bruning2011"/>। নিমোনিক্সে সাধারণত গল্প, ছড়া ও গান ব্যবহার করা হয়। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, [[W:সত্যজিৎ রায়|সত্যজিৎ রায়ের]] লেখা [[W:ফেলুদা|ফেলুদা]] গল্প ঘুর্ঘুটিয়ার ঘটনা গল্পে সেই গল্পের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ক্লু একটি পাসওয়ার্ড ৩৯০৩৯১২০ বা 39039120 মনে রাখতে "'''ত্রিনয়ন, ও ত্রিনয়ন, একটু জিরো'''" ব্যবহার করা হয়েছিল।
গবেষণায় দেখা যায় যে নিমোনিক্স ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। তবুও অনেক তাত্ত্বিক এর কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। একটি সাধারণ সমালোচনা হলো, এটি মুখস্তবিদ্যার উপর জোর দেয় এবং উচ্চস্তরের দক্ষতা যেমন অনুধাবন বা স্থানান্তর শেখায় না।<ref name="Putnam2015"/> নিমোনিক্স শুধুমাত্র তথ্য মনে রাখার জন্য তৈরি, তাই উচ্চতর শিক্ষায় এগুলোর ভূমিকা নিয়ে সমালোচনা অনর্থক হতে পারে। নিমোনিক্স মূলত মৌলিক তথ্য শেখায়, যা উচ্চতর চিন্তাভাবনায় সহায়তা করে। অনেকেই যুক্তি দেন, নিমোনিক্স আসলে দীর্ঘমেয়াদী শেখায়ও সহায়ক। যেমন, অনেকেই জীবনের বেশিরভাগ সময় ধরে রঙের ক্রম মনে রাখতে ROYGBIV ব্যবহার করেন। কার্নি ও লেভিন একটি গবেষণায় দেখান যে যারা নিমোনিক্স ব্যবহার করেছেন, তারা বিভিন্ন পরীক্ষায় তাদের নিজস্ব কৌশল ব্যবহারকারী শিক্ষার্থীদের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে ভালো ফল করেছেন।<ref name="Putnam2015"/> নিমোনিক্স শিক্ষার্থীদের শেখায় আরও উৎসাহিত করতে পারে। এক গবেষণায় শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, রিভিউ শিটে অ্যাক্রোনিম থাকলে তাদের মনে রাখা সহজ হয় এবং তারা আগেভাগেই পড়া শুরু করে। অন্য গবেষণায় দেখা গেছে, শিক্ষার্থীদের মতে কিছু নিমোনিক্স মুখস্থ রিহার্সালের তুলনায় সহজ, দ্রুত, আরও উপভোগ্য এবং কার্যকরী। এছাড়াও, এগুলো পরীক্ষার উদ্বেগ কমাতে সহায়তা করে <ref name="Putnam2015"/>। মুখস্থ শেখার বাইরে দীর্ঘমেয়াদী শিক্ষায় এগুলোর ভূমিকা নিয়ে বিতর্ক থাকলেও, এর কিছু স্পষ্ট উপকারিতা রয়েছে।
সমালোচনার পরেও, সঠিকভাবে ব্যবহার করলে নিমোনিক্স উপকারী হতে পারে। জটিল তথ্য মনে রাখতে এগুলো কার্যকর, তবে এগুলোর ওপর একমাত্র ভরসা করা উচিত নয়। এগুলোকে প্রাথমিক শেখার কৌশলের বিকল্প হিসেবে নয় বরং সম্পূরক হিসেবে ব্যবহার করা উচিত। অনেক শিক্ষার্থীর ক্ষেত্রে নিমোনিক্স ব্যবহার করে তথ্য মনে রাখার ক্ষমতা দ্বিগুণ বা ত্রিগুণ পর্যন্ত বৃদ্ধি পায় এবং শেখার প্রক্রিয়া আরও আনন্দদায়ক ও সহজ হয় <ref name="Putnam2015"/>। তথ্য মনে রাখার জন্য নির্দিষ্ট এনকোডিং কৌশল শেখার দক্ষতা এবং অনুধাবনের সফলতাও বাড়াতে পারে। এই অংশে বর্ণিত নিমোনিক্স কৌশলগুলোর মধ্যে রয়েছে '''কিওয়ার্ড মেথড''', '''অ্যাক্রোনিম''' এবং '''অ্যাক্রোস্টিকস'''।
===== কিওয়ার্ড মেথড =====
সবচেয়ে জনপ্রিয় নিমোনিক্স কৌশল সম্ভবত কিওয়ার্ড মেথড। এটি বিশেষ করে বিদেশি ভাষার শব্দ মনে রাখার ক্ষেত্রে খুব কার্যকর। এই কৌশলে শেখার জন্য একটি শব্দের সাথে মিল রেখে একটি পরিচিত শব্দ নির্বাচন করা হয় এবং এর সাথে একটি দৃশ্য বা বাক্য তৈরি করে শেখা হয়। এই পদ্ধতিতে শেখার শব্দটির সঙ্গে ধ্বনিগতভাবে মিলে যাওয়া মাতৃভাষার একটি শব্দ ব্যবহার করা হয়। এরপর সে শব্দটির সঙ্গে শেখার শব্দের অর্থ মিলিয়ে একটি বাক্য বা দৃশ্য তৈরি করা হয় <ref>Bakker, J., & Simpson, C. (2011). Mnemonic Strategies: Success for the Young-Adult Learner. Human Resource and Adult Learning, 7(2).</ref>। উদাহরণস্বরূপ, স্প্যানিশ শব্দ “carta” শেখার জন্য ইংরেজি শব্দ “cart” ব্যবহার করে শেখার প্রক্রিয়া তৈরি করা যায়। কিছু সমালোচনার মতে, কিওয়ার্ড পদ্ধতি তখন সমস্যাজনক হয় যখন শব্দটির জন্য স্পষ্ট কোনো কিওয়ার্ড খুঁজে পাওয়া যায় না <ref name="Putnam2015"/>। অন্যদিকে, এক গবেষণায় দেখা গেছে মাত্র দুই বা তিন ঘণ্টার keyword method প্রশিক্ষণে জার্মান শব্দ মনে রাখার হার ৭০% পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়, যা এর কার্যকারিতা প্রমাণ করে <ref name="Putnam2015"/>। উদাহরণস্বরূপ, [[W:সত্যজিৎ রায়|সত্যজিৎ রায়ের]] লেখা [[W:ফেলুদা|ফেলুদা]] সিরিজের একই গল্পে উল্লেখ আছে, ইংরেজরা হিন্দুস্তানি বলার ক্ষেত্রে সামাঞ্জস্যপূর্ণ ইংরেজি বাক্য ব্যহার করতো। যেমন: চাকরকে "দরওয়াজা বন্ধ কর।" বলার বদলে তারা দ্রুত গতিতে "There was a brown crow." বলতো।
=====অ্যাক্রোনিম=====
আদ্যাক্ষরের সংক্ষিপ্ত রূপ বা Acronyms হলো এমন একটি জনপ্রিয় নিমোনিক্স কৌশল যেখানে শব্দগুচ্ছের প্রথম অক্ষরগুলো নিয়ে একটি নতুন শব্দ তৈরি করা হয়। অনেক শিক্ষার্থী নিজের অজান্তেই এই কৌশলটি ব্যবহার করে থাকে। উদাহরণস্বরূপ, গাণিতিক ক্রম মনে রাখতে BEDMAS এবং ৭ রং মনে রাখতে বাংলায় '''বেনিআসহকলা''' ও ইংরেজিতে ROYGBIV ব্যবহৃত হয়। আপনি যদি কখনো এমন শব্দ ব্যবহার করে মনে রাখার চেষ্টা করে থাকেন, তাহলে আপনি মূলত একটি নিমোনিক্স কৌশল ব্যবহার করেছেন। অ্যাক্রোনিমের প্রতিটি অক্ষর লক্ষ্য শব্দের একটি রিকল সংকেত হিসেবে কাজ করে।
=====অ্যাক্রোস্টিকস=====
অ্যাক্রোস্টিকস অনেকটা অ্যাক্রোনিমের মতো। তবে এতে একটি বাক্য বা বাক্যাংশ তৈরি করা হয় যাতে প্রতিটি শব্দের প্রথম অক্ষর লক্ষ্য শব্দের অক্ষরগুলোর সাথে মেলে। একটি পরিচিত উদাহরণ হলো “every good boy deserves fudge”, যা ট্রেবল ক্লেফের লাইনগুলো (E, G, B, D, F) মনে রাখতে সাহায্য করে। এই অধ্যায়ে ব্যবহৃত মূল শব্দগুলো দিয়ে তৈরি একটি অ্যাক্রোস্টিকস নিচের চিত্রে দেখানো হয়েছে।
[[File:acrostic image.png|thumb|700px|এনকোডিং সরল তথ্য বিভাগে মূল শব্দগুলির জন্য অ্যাক্রোস্টিক উদাহরণ]]
{{Clear}}
==== হাইলাইটিং ====
[[চিত্র:Highlighting.png|থাম্ব|হাইলাইটিং]]
টেক্সটে হাইলাইট করা হলো শিক্ষার্থীদের মধ্যে সর্বাধিক প্রচলিত অধ্যয়ন কৌশলগুলোর একটি। হাইলাইটিং বলতে বোঝানো হয়, একটি লেখার গুরুত্বপূর্ণ অংশ নির্বাচন করে তা চিহ্নিত করা, যেন ভবিষ্যতে পুনরায় পড়ার সময় তা সহজে খুঁজে পাওয়া যায়। সাধারণভাবে, শিক্ষার্থীরা এটি এমন একটি শেখার কৌশল হিসেবে ব্যবহার করে, যা পরবর্তীতে পাঠ পুনরায় পড়ার সময় কাজে আসে।<ref name="Bjork2015">Bjork, E., Kornell, N., Storm, B., Yue, C (2015). Highlighting and its relation to distributed study and students' metacognitive beliefs. Educational Psychology Review, 27(1), 69-78. http://dx.doi.org/10.1007/s10648-014-9277-z</ref> হাইলাইটিং করার জন্য পাঁচটি সহজ ধাপ হলো: (১) লেখাটির সাধারণ বিষয়বস্তু সম্পর্কে ধারণা নেওয়া, (২) প্রতিটি অনুচ্ছেদ ধীরে ও মনোযোগ সহকারে পড়া, (৩) মূল বিষয়গুলো চিহ্নিত করা এবং হাইলাইট করা, (৪) খুঁজে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী লেখার ওপর নিজের বোঝাপড়া পুনর্বিন্যাস করা, এবং (৫) এই তথ্য মেমোরিতে ধারণ করা।<ref name="Den Elzen-Rump2007">Den Elzen-Rump, V., Leopold, C., Leutner, D (2007). Self-regulated learning with a text-highlighting strategy: A training experiment. Journal of Psychology, 215(3), 174-182. http://dx.doi.org/10.1027/0044-3409.215.3.174</ref> সঠিকভাবে হাইলাইট করা শিখতে হলে উচ্চ মাত্রার পাঠ্যবোধ, সমস্যা সমাধানের কৌশল এবং সমালোচনামূলক চিন্তার প্রয়োজন হয়। শিক্ষার্থীদের শিখতে হবে কীভাবে তারা কোন বিষয়বস্তু গুরুত্বপূর্ণ, প্রাসঙ্গিক এবং উপযুক্ত তা শনাক্ত করবে। হাইলাইটিং প্রক্রিয়াটি শিক্ষার্থীদের জন্য কিছুটা চ্যালেঞ্জিং হওয়া উচিত, কারণ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের ওপর মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করার মধ্য দিয়ে টেক্সটের অর্থ গভীরভাবে অনুধাবন করা যায়।<ref name="Bjork2015" />
হাইলাইটিং এমন একটি প্রক্রিয়া যেখানে পাঠ্যাংশকে অর্থপূর্ণভাবে বিশ্লেষণ করা হয়—যার মধ্যে পড়া, পূর্ববর্তী জ্ঞান সক্রিয় করা, গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নির্বাচন করা, আগের পাঠের সঙ্গে এই তথ্যের সংযোগ তৈরি করা, এবং পাঠ্যের অর্থপূর্ণ একটি রূপ গঠন করাও অন্তর্ভুক্ত।<ref name="Den Elzen-Rump2007" /> এই প্রতিটি ধাপ এনকোডিং প্রক্রিয়াকে শক্তিশালী করে এবং এই তথ্য কাজের স্মৃতিতে আরও গভীরভাবে প্রক্রিয়াজাত হয়। বাক্যাংশ বা নির্দিষ্ট শব্দ চিহ্নিত করাও শিক্ষার্থীদের মনোযোগ গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের ওপর কেন্দ্রীভূত রাখে। হাইলাইটিং কেন শিক্ষণকে সহায়তা করতে পারে সে সম্পর্কে বিভিন্ন তত্ত্ব রয়েছে। পাঠ্যাংশে কোন কোন অংশ চিহ্নিত করা হবে তা সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় যে মানসিক প্রক্রিয়া ঘটে, তা শিক্ষার্থীদেরকে বিষয়বস্তুর ওপর আরও গভীরভাবে ভাবতে বাধ্য করে, যার ফলে শুধু পড়ার তুলনায় তথ্যের গভীর অর্থবোধ তৈরি হয়।<ref name="Bjork2015" /> যখন শিক্ষার্থীরা সক্রিয়ভাবে বেছে নেয় কোন অংশ হাইলাইট করবে এবং কোন অর্থগুলো গুরুত্বপূর্ণ, তখন তাদের পাঠ্য পাঠ এবং পুনরায় পাঠের ধরণও বদলে যায়—এতে করে তথ্য আরও গুরুত্বপূর্ণ ও স্মরণযোগ্য হয়ে ওঠে।<ref name="Bjork2015" />
যদিও হাইলাইটিংয়ের সঙ্গে যুক্ত মানসিক প্রক্রিয়াগুলো কেন কার্যকর হতে পারে তা নিয়ে অনেক মতবাদ রয়েছে, তবুও কিছু গবেষণায় হাইলাইটিংয়ের ইতিবাচক ফলাফল দেখা গেছে, আবার কিছু গবেষণায় দেখা যায়নি।<ref name="Bjork2015" /> এক গবেষণায় দেখা গেছে, যারা হাইলাইটকৃত তথ্য পড়েছে, তারা যারা সাধারণ লেখা পড়েছে তাদের তুলনায় তথ্য আরও ভালোভাবে মনে রাখতে পেরেছে।<ref name="Bjork2015" /> অন্যদিকে, যারা হাইলাইটিংয়ের কার্যকারিতা নিয়ে সন্দিহান, তারা বলে থাকেন অধিকাংশ শিক্ষার্থী সঠিকভাবে হাইলাইট করতে জানে না, ফলে এর উপকারিতা কমে যায়। শিক্ষার্থীরা যদি যথেষ্ট মনোযোগ না দেয়, তাহলে তারা এমন তথ্য হাইলাইট করতে পারে যা তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয়।<ref name="Den Elzen-Rump2007" /> এতে করে শিক্ষার্থীদের মনোযোগ আসল তথ্য থেকে সরে যায় এবং এটি একপ্রকার বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে, যা মানসিক চাপ বাড়িয়ে দেয় এবং গভীর অনুধাবন বাধাগ্রস্ত করে।<ref name="Bjork2015" /> আরেকটি মত হলো, হাইলাইটিং একটি প্লেসেবো ইফেক্ট সৃষ্টি করে।<ref name="Bjork2015" /> অর্থাৎ, শিক্ষার্থীরা মনে করে হাইলাইটার কার্যকর, শুধুমাত্র কারণ তারা দীর্ঘদিন ধরে তা ব্যবহার করছে। এই বিশ্বাস উল্টো ফল দিতে পারে যখন শিক্ষার্থীরা অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠে এবং প্রক্রিয়াটি নিয়ে তেমন ভাবনাচিন্তা না করে। অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসী শিক্ষার্থীরা মনে করতে পারে তারা বিষয়বস্তু আগে থেকেই জানে এবং ফলে তারা তা দ্রুত পড়ে যায় এবং গভীরভাবে প্রক্রিয়া করে না।<ref name="Bjork2015" />
=== জটিল তথ্য এনকোডিং ===
ক্রেইক এবং লকহার্টের জনপ্রিয় গভীর প্রক্রিয়াজাতকরণের স্তরের তত্ত্ব অনুযায়ী, কোনো তথ্য কতটা মানসিকভাবে প্রক্রিয়াকৃত হয়েছে তা তার স্মরণযোগ্যতার উপর বড় ধরনের প্রভাব ফেলে।<ref name="Galli2014">Galli, G. (2014). What makes deeply encoded items memorable? Insights into the levels of processing framework from neuroimaging and neuromodulation. Frontiers In Psychiatry, 5doi:10.3389/fpsyt.2014.00061</ref> তাঁদের তত্ত্বে বলা হয়েছে, স্মৃতির ছাপ হচ্ছে সেইসব বিশ্লেষণের রেকর্ড যা গ্রহণ এবং অনুধাবনের উদ্দেশ্যে সম্পাদিত হয়, এবং গভীর অর্থবোধক প্রক্রিয়াকরণ অধিক টেকসই স্মৃতিচিহ্ন তৈরি করে।<ref>Nyberg L. Imaging episodic memory: Implications for cognitive theories and phenomena. Memory [serial online]. September 1999;7(5-6):585-597. Available from: PsycINFO, Ipswich, MA. Accessed December 7, 2015.</ref> '''সেমান্টিক এনকোডিং''' বলতে বোঝায় কোনো ধারণার অর্থভিত্তিক এনকোডিং, যা গভীরতর বোঝাপড়া এবং আরও সফলভাবে তথ্য সংরক্ষণের পথ তৈরি করে। সাধারণত, যেসব তথ্য অর্থভিত্তিক প্রক্রিয়াকরণে সংরক্ষিত হয়, তা পরবর্তীতে স্মৃতিচর্চায় বেশি ভালোভাবে মনে রাখা যায়, তুলনামূলকভাবে পৃষ্ঠতল প্রক্রিয়াকরণে সংরক্ষিত তথ্যের চেয়ে।<ref name="Galli2014" /> যদি নতুন তথ্যের অর্থ বা ধারণাটি প্রক্রিয়াকরণের মূল ফোকাস হয়, তাহলে সেই তথ্য অর্থভিত্তিক স্মৃতিকোডে সংরক্ষিত হয় এবং তা স্মরণযোগ্য হয়। তবে, যদি কেবল তথ্যের পৃষ্ঠতলের দিকগুলো বিশ্লেষণ করা হয়, তাহলে তথ্যটি গভীরভাবে এনকোড হয় না এবং সহজে মনে থাকে না।<ref name="Galli2014" /> ক্রেইক এবং লকহার্টের ভাষায়, স্মৃতি নির্ভর করে প্রক্রিয়াকরণের গভীরতার ওপর। পরীক্ষামূলক এবং দৈনন্দিন পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, যখন আমরা কোনো তথ্য সেমান্টিক এনকোডিংয়ের মাধ্যমে শিখি, তখন স্মৃতি উন্নত হয়, পৃষ্ঠতল বৈশিষ্ট্যগুলোতে মনোযোগ দেওয়ার মতো "শ্যালো" পদ্ধতির তুলনায়।<ref name="Galli2014" /> গভীর প্রক্রিয়াকরণ বলতে বোঝায় অর্থভিত্তিক প্রক্রিয়াকরণ। '''বাহ্যিক প্রক্রিয়াকরণ''' বলতে বোঝায় নতুন উপকরণের বাহ্যিক বৈশিষ্ট্যে মনোযোগ দেওয়া। একটি উদাহরণ হতে পারে — কোনো পাঠ্যাংশে শব্দ হাইলাইট করা, যেটি সহজ তথ্য সংরক্ষণের পৃষ্ঠতল প্রক্রিয়াকরণ; অন্যদিকে, পাঠ্যাংশ পড়ে নিজের ভাষায় তা ব্যাখ্যা করা হচ্ছে গভীর প্রক্রিয়াকরণ। নিজের ভাষায় প্রবন্ধ উপস্থাপন করতে হলে তার অর্থ বুঝতে হয় এবং মনোযোগ সহকারে বিশ্লেষণ ও অনুধাবন করতে হয়। সাধারণভাবে, তত্ত্ববিদরা একমত যে গভীর এনকোডিং অধিক বিশদ স্মৃতিচিহ্ন সৃষ্টি করে, যা পরবর্তীতে স্মরণযোগ্যতায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।<ref name="Galli2014" />
==== পূর্বজ্ঞান সক্রিয়করণ ====
'''পূর্বজ্ঞান''' হলো কোনো নির্দিষ্ট বিষয়ে শিক্ষার্থীর আগেই অর্জিত জ্ঞান। পূর্বজ্ঞান সক্রিয় করার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা নতুন তথ্যের সঙ্গে পরিচিত তথ্যের সম্পর্ক স্থাপন করতে পারে, যা তাদের অনুমান করতে এবং সংযোগ গড়ে তুলতে সহায়তা করে। এটি এনকোডিং সহজ করে এবং নতুন তথ্য পুনরুদ্ধারে সাহায্য করে। এছাড়াও, ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার সঙ্গে নতুন তথ্যের সম্পর্ক তৈরি করা হলে ভবিষ্যতে সেই তথ্য আরও ভালোভাবে মনে রাখা যায়। যেকোনো বয়সের শিক্ষার্থী এই প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে পারে, যা সব স্তরের শিক্ষার্থীদের জন্য এনকোডিং ও রিকল বাড়াতে সহায়ক। পূর্বজ্ঞান সক্রিয়করণের জন্য বিভিন্ন শিক্ষণ কৌশল ব্যবহৃত হতে পারে, যার উদ্দেশ্য শিক্ষার্থীদের পূর্ব সম্পর্কিত জ্ঞানকে উদ্দীপ্ত করা নতুন শেখার প্রস্তুতি হিসেবে।<ref name="Bruning20112" /> উদাহরণস্বরূপ, ভ্যান ব্ল্যাঙ্কেনস্টেইন এবং সহকর্মীরা দেখিয়েছেন, যারা স্ব-অধ্যয়নের আগে পূর্বজ্ঞান সক্রিয় করেছে, তারা যারা তা করেনি তাদের তুলনায় অধ্যয়নের পর বেশি তথ্য মনে রাখতে পেরেছে।<ref name="Van2013">Van Blankenstein, F. M., Dolmans, D. M., Van der Vleuten, C. M., & Schmidt, H. G. (2013). Relevant prior knowledge moderates the effect of elaboration during small group discussion on academic achievement. Instructional Science, 41(4), 729-744. doi:10.1007/s11251-012-9252-3</ref> আরও দেখা গেছে, যারা প্রাসঙ্গিক পূর্বজ্ঞান সক্রিয় করেছে তারা নতুন তথ্য বেশি এনকোড করতে পেরেছে, তুলনায় যারা অপ্রাসঙ্গিক পূর্বজ্ঞান সক্রিয় করেছে। এটি দেখায়, প্রাসঙ্গিক পূর্বজ্ঞান নির্ধারণে উপযুক্ত কৌশল বেছে নেওয়া কতটা গুরুত্বপূর্ণ।<ref name="Van2013" /> পূর্বজ্ঞান সক্রিয়করণ একটি সহজ এবং কার্যকর শিক্ষণ কৌশল, কারণ এটি যেকোনো শিক্ষাদান পদ্ধতির সঙ্গে ব্যবহার করা যায় যা শিক্ষার্থীদের শেখার বিষয়ের সঙ্গে পূর্বজ্ঞানকে সম্পর্কিত করতে সহায়তা করে। উদাহরণস্বরূপ, গ্রুপ আলোচনা, পরীক্ষা-নিরীক্ষা, পর্যালোচনা সেশন কিংবা ব্যক্তিগত লেখালেখি রিফ্লেকশন। নিচের অংশে কিছু শিক্ষণ কৌশলের উদাহরণ আরও বিশদভাবে আলোচনা করা হয়েছে।
===== KWL অনুধাবন কৌশল =====
Know-Want-Learn (KWL) কৌশলটি ১৯৮৬ সালে ডোনা ওগল উদ্ভাবন করেন। তিনি এই কৌশলটি তৈরি করেন যাতে শিক্ষকরা আরও শিক্ষার্থী-কেন্দ্রিক পাঠদানের পদ্ধতি গ্রহণ করতে পারেন। শুরুতে এটি পাঠ্যবোধ উন্নয়নের জন্য তৈরি হলেও পরবর্তীতে বিভিন্ন শিক্ষাক্ষেত্রে এটি ব্যবহৃত হতে থাকে।<ref name="Ogle">Ogle, D. (1986) K-W-L: A teaching model that develops active reading of expository text. Reading Teacher, 39(6), 564-570. http://dx.doi.org/10.1598/RT.39.6.11</ref>
KWL কৌশলটি নির্মাণবাদী (constructivist) তত্ত্বের ওপর ভিত্তি করে, যা তথ্য সক্রিয়করণ এবং স্মরণকে কেন্দ্র করে। এর ধাপগুলো (Know, Want, Learned) শিক্ষার্থীদের পূর্বজ্ঞান সক্রিয় করে, তাদের বর্তমান ধারণাগুলো শনাক্ত করতে সাহায্য করে এবং নতুন শেখা তথ্য পুরোনোর সঙ্গে সংযুক্ত করে, যা এই তথ্যকে আরও শক্তিশালী ও স্থায়ী করে তোলে। KWL-এর উদ্দেশ্য হলো শিক্ষার্থীরা যেন নিজের জ্ঞান ও নতুন তথ্যকে নিজের মতো করে বুঝে নিতে পারে।<ref name="Tok">Tok, S. (2013). Effects of the Know-Want-Learn strategy on students’ mathematics achievement, anxiety and metacognitive skills. Metacognition and Learning, 8(2), 193-212. http://dx.doi.org/10.1007/s11409-013-9101-z</ref> এই কৌশলটি শিক্ষার্থীদের সক্রিয়ভাবে শেখার প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে শেখায় এবং তারা কী জানে না তা উপলব্ধি করতে সহায়তা করে—যা একটি গুরুত্বপূর্ণ মেটাকগনিটিভ দক্ষতা।
'''Know-Want-Learn কৌশলের ব্যবহার'''
[[চিত্র:KWL_Chart_Example.tif|থাম্ব|KWL চার্ট উদাহরণ]]
KWL কৌশলটি সাধারণত একটি তিনধাপের চার্ট আকারে উপস্থাপিত হয়:
<u>১. “আমি কী জানি?”</u> এই ধাপটি হলো “Know” ধাপ। নতুন তথ্য ক্লাসে আনার আগে, শিক্ষার্থীদের বলা হয় তারা কোনো বিষয়ে আগে কী জানে তা মনে করতে। এটি যৌথভাবে করা যেতে পারে—শিক্ষার্থীরা একত্রে মস্তিষ্ক ঝড় (brainstorm) করে এবং তাদের পূর্বজ্ঞান শেয়ার করে, শিক্ষক তা চার্টের প্রথম কলামে লিখে রাখেন।<ref name="Tok" /> শিক্ষকের ভূমিকা এখানে আলোচনাকে চালনা ও উদ্দীপ্ত করা, শিক্ষার্থীদের ধারণাগুলো ঠিক আছে কিনা তা শুধরানো নয়। এই ধাপ শিক্ষার্থীদের পূর্বজ্ঞান এবং সংশ্লিষ্ট স্কিমা সক্রিয় করে। ব্রেইনস্টর্মের পরে, শিক্ষার্থীদের বলা হয় তাদের ধারণাগুলো যুক্তিসঙ্গতভাবে সাজাতে, যাতে তথ্য শ্রেণিবদ্ধ করা যায় এবং ধারণাগুলো পরস্পরের সঙ্গে সংযুক্ত হয়। এই দক্ষতা একবার শিখে গেলে, তা অন্যান্য ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা যায়, যা তাদের পাঠ্যবোধ এবং স্কিমা গঠনে সহায়তা করে।<ref name="Ogle" />
<u>২. “আমি কী জানতে চাই?”</u> দ্বিতীয় ধাপ হলো “Want” ধাপ। পূর্বজ্ঞান সক্রিয় ও নথিভুক্ত করার পর, শিক্ষার্থীদের বলা হয় তারা সেই বিষয় সম্পর্কে কী জানতে চায়। প্রশ্নগুলো চার্টের দ্বিতীয় কলামে লেখা হয়। এই ধাপ শিক্ষার্থীদেরকে গভীরভাবে ভাবতে বাধ্য করে, তারা কী জানে এবং কী জানে না তা বুঝতে শেখে এবং কোন বিষয়গুলো তাদের আগ্রহ জাগায় তা শনাক্ত করে। এই ধাপে শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত অংশগ্রহণ বাড়ে, যা শিক্ষার প্রতি তাদের আগ্রহও বাড়াতে পারে।
<u>৩. “আমি কী শিখেছি?”</u> শেষ ধাপ হলো “Learned” ধাপ। বিষয় সম্পর্কে নতুন তথ্য উপস্থাপনের পর, শিক্ষার্থীদের বলা হয় তারা কী শিখেছে তা নিয়ে চিন্তা করতে। এই ধাপ তাদেরকে নতুন তথ্যের সঙ্গে পূর্বজ্ঞান যুক্ত করে এবং কোনো ভুল ধারণা থাকলে তা সংশোধন করতে সাহায্য করে। শিক্ষার্থীদের ভুল বোঝাবুঝি চার্টের প্রথম ও শেষ কলাম তুলনা করে সহজেই চিহ্নিত করা যায়। এছাড়া, চার্টে তথ্য দৃশ্যমানভাবে উপস্থাপন করায়, শিক্ষার্থীরা সহজেই নতুন ধারণাকে পূর্বজ্ঞান সঙ্গে মিলিয়ে দেখতে পারে, যা তাদের শেখা আরও গভীর করে তোলে।
'''KWL কৌশল নিয়ে গবেষণা এবং প্রশিক্ষকদের মতামত'''
KWL কৌশলটি বিভিন্ন শ্রেণি ও বিষয়ে কার্যকর এবং উপকারী প্রমাণিত হয়েছে<ref name="Ogle" />, এটি সহজেই বিভিন্ন বয়সের শিক্ষার্থীদের উপযোগী করে পরিবর্তনযোগ্য এবং পুরোনো তথ্যের সঙ্গে নতুন তথ্য সংযুক্ত করতে কার্যকর। দীর্ঘ ও জটিল পাঠগুলো ছোট ছোট অংশে ভাগ করে চর্চা করা যায়, যাতে মানসিক চাপ এবং শেখার অসুবিধা কমে। যদিও এটি মূলত পাঠ্যবোধের জন্য তৈরি করা হয়েছিল, গবেষণায় দেখা গেছে এটি পড়া, গণিত, বিজ্ঞান, ভাষা ও মেটাকগনিটিভ দক্ষতা উন্নয়নে সহায়ক।<ref name="Tok" /> উদাহরণস্বরূপ, ৬ষ্ঠ শ্রেণির গণিত শিক্ষার্থীদের একটি গবেষণায় দেখা গেছে যারা KWL কৌশলের মাধ্যমে পাঠ গ্রহণ করেছে তারা জ্ঞান যাচাই পরীক্ষায় উল্লেখযোগ্যভাবে ভালো করেছে তাদের তুলনায় যারা এই কৌশল ব্যবহার করেনি।<ref name="Tok" />
শিক্ষকেরা তাঁদের পাঠ পরিকল্পনায় KWL কৌশল সংযুক্ত করার পরে ইতিবাচক প্রভাব অনুভব করেন, এবং শিক্ষার্থীরাও এই কৌশলের ব্যবহার নিয়ে ভালো প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।<ref name="Ogle" /> প্রাথমিক গবেষণাগুলো এই কৌশলকে শিক্ষণ কৌশল হিসেবে সমর্থন করে এবং দেখা গেছে এটি অনেক অন্যান্য অনুধাবন কৌশলের তুলনায় ভালো কাজ করে এবং শিক্ষার্থীরা এটিকে বেশি পছন্দ করে।<ref name="Tok" />
===== ধারণামূলক মানচিত্র (Concept Mapping) =====
[[চিত্র:Concept_Map.png|থাম্ব|কনসেপ্ট ম্যাপিং]]
ধারণামূলক মানচিত্র বা কনসেপ্ট ম্যাপিং হলো একটি শেখার কৌশল যেখানে নির্দিষ্ট বিষয়ের সাথে সম্পর্কিত তথ্য চিত্রের মাধ্যমে সাজানো হয় সম্পর্কযুক্ত ধারণাগুলোর ভিত্তিতে। ধারণামূলক মানচিত্রে একটি জ্ঞানের ক্ষেত্রের বিভিন্ন ধারণা ও তাদের পারস্পরিক সম্পর্ক ও আন্তঃক্রিয়াগুলো দেখানো হয়। এই গ্রাফিক উপস্থাপনাগুলো শিক্ষার্থীদেরকে ধারণাগুলোর অর্থ আরও গভীরভাবে এবং স্পষ্টভাবে অনুধাবনে সহায়তা করে।<ref name="Blunt">Blunt, J (2014). Learning with retrieval-based concept mapping. Journal of Educational Psychology, 106(3), 849-858. http://dx.doi.org/10.1037/a0035934</ref> ধারণামূলক মানচিত্রের কিছু প্রচলিত রূপ হলো ভেন চিত্র, ট্রি ডায়াগ্রাম, ফ্লো চার্ট এবং প্রসঙ্গ চিত্র। এগুলো বিভিন্ন বিষয়ের পাঠ্যবিষয়ে ব্যবহার ও মানিয়ে নেওয়া সম্ভব।
যখন একজন শিক্ষার্থী একটি ধারণামূলক মানচিত্র তৈরি করে, তখন তাকে বিভিন্ন ধারণার মধ্যে সম্ভাব্য সম্পর্ক বিবেচনায় নিতে হয়। এতে তার পূর্বজ্ঞান ও স্কিমা সক্রিয় হয়। ধারণাগুলোর পারস্পরিক সম্পর্ক নির্ধারণ করতে গিয়ে শিক্ষার্থীরা নতুন তথ্য তাদের বিদ্যমান স্কিমাতে সংযুক্ত করে। শিক্ষার্থীদেরকে সমালোচনামূলকভাবে চিন্তা করতে হয় যাতে তারা ধারণাগুলোর মধ্যে যৌক্তিক সম্পর্ক খুঁজে পায় এবং পুরনো স্কিমার সঙ্গে নতুন ধারণাগুলোর সংযোগ ঘটাতে পারে, ফলে শেখা আরও দৃঢ় হয় এবং নতুন উপকরণ আরও ভালোভাবে সংরক্ষিত হয়।<ref name="Blunt" /> ধারণামূলক মানচিত্র তৈরির জন্য শিক্ষার্থীদেরকে তাদের শেখা তথ্য গভীরভাবে অনুধাবন করতে হয় যাতে তারা মূল পয়েন্টগুলো নির্ধারণ করতে পারে।<ref name="Blunt" /> এই মানচিত্র তৈরি করতে গিয়ে শিক্ষার্থীরা শেখে কীভাবে তারা তাদের জ্ঞান উপস্থাপন করবে এবং কীভাবে তথ্যকে একটি যৌক্তিক, অর্থপূর্ণ উপায়ে সংগঠিত করবে।
'''ধারণামূলক মানচিত্রের ব্যবহার''' ধারণামূলক মানচিত্র বিভিন্ন একাডেমিক উপায়ে ব্যবহার করা যায়। শিক্ষার্থীরা নিজে নিজে ধারণামূলক মানচিত্র তৈরি করতে পারে শেখার সময়। এটি তাদের শেখার প্রক্রিয়াকে সহায়তা করে কারণ এতে শিক্ষার্থীরা একটি অধ্যয়নের মূল ধারণাগুলো এবং সেগুলোর পারস্পরিক সম্পর্ক শনাক্ত করতে পারে। এতে শিক্ষার্থীরা অধ্যয়নের সময়ে বিষয়বস্তুর একটি গভীরতর উপলব্ধি অর্জন করে। ক্লাসে নির্দেশনার পর ধারণামূলক মানচিত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার কৌশল হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে। যেমন, শিক্ষার্থীরা একটি ফাঁকা ডায়াগ্রাম পূরণ করতে পারে তাদের বোধগম্যতার ফর্মেটিভ মূল্যায়ন হিসেবে। ধারণামূলক মানচিত্রকে স্মরণ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য পাঠ পুনরাবৃত্তির কৌশল হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে। অবশেষে, শিক্ষকরা তাদের পাঠদানের সহায়ক উপকরণ হিসেবেও এই মানচিত্র ব্যবহার করতে পারে। ডায়াগ্রাম এবং চিত্রভিত্তিক উপস্থাপনাগুলো নতুন ধারণা শেখাতে সহায়ক হতে পারে কারণ শিক্ষকরা কী বোঝাতে চাইছেন তা পরিষ্কারভাবে উপস্থাপন করতে পারেন।<ref>Hung, S., Ku, D., Shih, J (2014). The integration of concept mapping in a dynamic assessment model for teaching and learning accounting. Journal of Educational Technology & Society, 17(1), 141-153.</ref>
'''গবেষণালব্ধ ফলাফল''' গবেষণায় দেখা গেছে যে, ধারণামূলক মানচিত্র ব্যবহারের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা কীভাবে তথ্য সংগঠিত করতে হয় তা শিখতে পারে, তাদের একাডেমিক পারফরম্যান্স বৃদ্ধি পায় এবং তথ্য মনে রাখার সক্ষমতা বাড়ে।<ref name="Liu">Liu, P (2014). Using eye tracking to understand learners' reading process through the concept-mapping learning strategy. Computers & Education, 78, 237-249. http://dx.doi.org/10.1016/j.compedu.2014.05.011</ref> কারণ একটি ধারণামূলক মানচিত্র তৈরি করা এমন একটি প্রক্রিয়া যা গভীর চিন্তা, সংগঠন এবং পুরনো তথ্যের সঙ্গে নতুন তথ্যের সম্পর্ক স্থাপন করার মতো এনকোডিং শক্তিশালী করার কৌশলের উপর নির্ভর করে। উদাহরণস্বরূপ, একটি গবেষণায় তুলনা করা হয়েছে যে তথ্য প্রত্যাহারের জন্য ধারণামূলক মানচিত্র এবং অনুচ্ছেদ আকারে লেখা কোনটি বেশি কার্যকর। এতে দেখা গেছে যে, দুটি ফরম্যাটই প্রায় সমান কার্যকর। তবে গবেষকরা জানিয়েছেন, অংশগ্রহণকারীরা অনুচ্ছেদ ফরম্যাটকে ধারণামূলক মানচিত্রের চেয়ে বেশি পছন্দ করেছেন।<ref name="Liu" />
= রিট্রিভাল বা পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়া =
এই অধ্যায়ের প্রথম অংশে আপনি এনকোডিং প্রক্রিয়া এবং এটি কীভাবে স্মৃতি নির্মাণে ভূমিকা রাখে তা শিখেছেন। এই অংশে আমরা রিট্রিভাল বা পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়া এবং এটি কীভাবে পুনর্গঠিত স্মৃতিতে ব্যবহৃত হয় তা নিয়ে আলোচনা করবো। রিট্রিভাল বলতে দীর্ঘমেয়াদী স্মৃতি থেকে তথ্য পুনরুদ্ধারের প্রক্রিয়াকে বোঝায়। এটি একটি জটিল কিন্তু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া, যেখানে স্মৃতিগুলোকে সচেতন অভিজ্ঞতায় রূপান্তর করা হয়।<ref name="Bruning20113" /> বিভিন্ন উপাদান রিট্রিভাল প্রক্রিয়ার দক্ষতাকে প্রভাবিত করতে পারে, যেমন রিট্রিভালের সময়ের পরিবেশ এবং শিক্ষার্থীর অধ্যয়ন কৌশল। উদাহরণস্বরূপ, শিক্ষার্থী তথ্যকে চিনে রাখার জন্য অধ্যয়ন করেছে নাকি মনে রাখার জন্য তা রিট্রিভালের মানে অনেকটা নির্ধারণ করে দেয়। গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব শিক্ষার্থী রিকলভিত্তিক (প্রবন্ধ নির্ভর) পরীক্ষা প্রত্যাশা করে, তারা তথ্যের সংগঠনের ওপর বেশি মনোযোগ দেয়। অন্যদিকে, যারা মাল্টিপল চয়েস পরীক্ষার প্রত্যাশা করে, তারা ধারণাগুলোকে আলাদা আলাদা করে চিনে রাখে।<ref name="Bruning20113" /> সংরক্ষিত তথ্যের রিট্রিভাল পূর্বজ্ঞান ব্যবহারের একটি অপরিহার্য অংশ এবং মূল্যায়নের মাধ্যমে বোঝাপড়ার প্রকাশ। তবে, রিট্রিভাল সংক্রান্ত সমস্যা, যেমন ভুল তথ্য মনে পড়া, শেখার প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করতে পারে। এই অংশে আমরা স্মৃতি ও তথ্যের পুনর্গঠন নিয়ে আলোচনা করবো, নির্দিষ্ট উদাহরণ ও সংজ্ঞা দেবো, এই ক্ষেত্রে গবেষণার দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরবো এবং স্মৃতি পুনর্গঠনের সময় যে ভুলগুলো হতে পারে তা বিশ্লেষণ করবো।
== স্মৃতি এবং তথ্য সংরক্ষণ এবং পুনর্গঠন ==
তথ্য যখন এনকোডিং প্রক্রিয়ায় মস্তিষ্কে প্রবেশ করে, তখন কেবল বাছাইকৃত গুরুত্বপূর্ণ উপাদানগুলোই দীর্ঘমেয়াদী স্মৃতিতে সংরক্ষিত হয়।<ref name="Bruning20113" /> এই সংরক্ষণ প্রক্রিয়ায় সহায়তা করে '''স্কিমাটা''' নামক মানসিক কাঠামো, যা জ্ঞানকে সংগঠিত করতে সাহায্য করে।<ref name="Bruning20113" /> এই বিষয়টি বোঝাতে একটি কুকুরকে কিভাবে চিনতে পারেন তা চিন্তা করুন। আপনার “কুকুর” বিষয়ক স্কিমাতে থাকতে পারে—চারটি পা, ঘেউ ঘেউ করে, লেজ আছে ইত্যাদি। কেউ কেউ স্কিমায় যোগ করতে পারে যে কুকুর পোষা প্রাণী, আবার কেউ মনে করতে পারে তারা বিপজ্জনক ও কামড় দিতে পারে। স্কিমার বিভিন্ন উপাদান একত্র হয়ে একটি সম্পূর্ণ উপলব্ধি গড়ে তোলে। যখন আমরা কোনো তথ্য মনে করতে চাই, তখন স্কিমা সক্রিয় হয় এবং সংরক্ষিত উপাদানসমূহ সাধারণ জ্ঞানসহ একত্র হয়ে স্মৃতিকে পুনর্গঠিত করে। সুতরাং, '''পুনর্গঠিত স্মৃতি''' বলতে বোঝায়—স্মৃতি পুনরুদ্ধারের সময় দীর্ঘমেয়াদী স্মৃতিতে থাকা সীমিত মূল তথ্যের সঙ্গে সাধারণ ও নির্দিষ্ট জ্ঞান যুক্ত করে একটি পূর্ণাঙ্গ স্মৃতি তৈরি করা। স্মৃতির এই পুনর্গঠন আমাদের টুকরো তথ্য নিয়ে কাজ করতে সহায়তা করে, যা একসাথে সব তথ্য মনে রাখার চেয়ে সহজ। তবে, এটি পুরোপুরি নির্ভুল নয়; পুনর্গঠনের সময় ভুল হতে পারে, যা মূল তথ্যকে বিকৃত করতে পারে।
এই ধারণাটি বোঝাতে একটি জিগস পাজলের কথা ভাবুন এবং সেই বাক্স যেখানে টুকরোগুলো রাখা আছে। প্রতিটি টুকরো মিলে একটি পূর্ণ চিত্র তৈরি করে, তবে তারা বাক্সে পৃথকভাবে সংরক্ষিত থাকে। যখন অর্থপূর্ণভাবে একটির সঙ্গে আরেকটি যুক্ত করে চিত্র গঠন করা হয়, তখন পূর্ণ ছবি তৈরি হয়। কিন্তু তৈরি চিত্রটি এখন এত বড় যে আর বাক্সে রাখা যাবে না। ফলে আবার টুকরো টুকরো করে খুলে আগের মতো করে রাখতে হবে। এভাবেই স্মৃতি ও তথ্য সহজ সংরক্ষণের জন্য খণ্ড খণ্ড করে রাখা হয়, কিন্তু প্রাসঙ্গিক জ্ঞান দিয়ে তা আবার গঠিত করে অর্থবোধক একটি একক তথ্যরূপে উপস্থাপন করা যায়।<ref name="Bruning20113" />
=== স্মৃতি পুনর্গঠনের উপর বার্টলেটের গবেষণা ===
স্মৃতি কীভাবে পুনরুদ্ধার হয়—এই প্রশ্ন নিয়ে বহুদিন ধরে বিতর্ক চলে আসছে: এটি কি মূলত হুবহু পুনঃপ্রতিস্থাপন (reproductive) নাকি পুনর্গঠন (reconstructive)?<ref name="Bruning20113" /> স্মৃতি পুনর্গঠন নিয়ে বেশ কিছু গবেষণার পর, অধিকাংশ সংজ্ঞাবাদী মনোবিজ্ঞানী একমত যে স্মরণ একটি পুনর্গঠনমূলক প্রক্রিয়া।<ref name="Bruning20113" /> এই বিতর্কে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে ব্রিটিশ মনোবিজ্ঞানী ফ্রেডেরিক বার্টলেটের একটি গবেষণা, যা তার বই ''Remembering: A Study in Experimental and Social Psychology''-এ প্রকাশিত হয়।<ref name=":1">Bartlett, F.C. (1932). ''Remembering: A Study in Experimental and Social Psychology.'' Cambridge University Press.</ref> এই গবেষণায়, শিক্ষার্থীদের একটি অন্য সংস্কৃতির ছোট গল্প পড়ানো হয় যাতে তারা আগে থেকে পরিচিত না থাকে। বিভিন্ন সময় পর তাদের সেই গল্পটি যতটুকু মনে আছে তা পুনরায় বলতে বলা হয়। দুই বছর পর একজন শিক্ষার্থীকে আবার গল্পটি বলার জন্য বলা হয়। সে কেবল দুই প্রধান চরিত্র—''Egulac'' এবং ''Calama''—এর নাম মনে রাখতে পেরেছিল। কিছু সময় চিন্তা করার পর, সে গল্পের অন্যান্য দিক এই নামগুলোর সঙ্গে যুক্ত করে মনে করতে পেরেছিল। যদিও এগুলো মূল গল্পের হুবহু মিল ছিল না, তবুও বোঝা যাচ্ছিল এগুলো মূল গল্প থেকেই অনুপ্রাণিত। এই পরীক্ষা দেখায় যে স্মরণ একটি সক্রিয় প্রক্রিয়া। মূল স্মৃতি থেকে পাওয়া প্রধান পয়েন্ট এবং পূর্বজ্ঞান মিলে একটি সম্পূর্ণ স্মৃতি তৈরি করা সম্ভব। এই গবেষণা স্মৃতির পুনর্গঠনমূলক প্রকৃতি প্রমাণ করে, কারণ শিক্ষার্থী একটি রেফারেন্স পয়েন্ট থেকে শুরু করে সংযোগ তৈরি করতে করতে গল্পটি পুনর্গঠিত করে।<ref name=":1" />
=== পুনর্গঠনে ভুল ===
বার্টলেটের গবেষণা স্মৃতি পুনর্গঠনের সময় যে ভুলগুলো হতে পারে সেগুলো বিশ্লেষণের সুযোগ করে দেয়। যেমন, তার গবেষণায় শিক্ষার্থী গল্পটি কিছুটা ভিন্নভাবে পুনর্গঠিত করেছিল, যা প্রমাণ করে যে পুনর্গঠন প্রক্রিয়া ভুলের জন্য স্পর্শকাতর এবং একে পুরোপুরি নির্ভরযোগ্য তথ্যের উৎস হিসেবে ধরা যায় না। স্মৃতি পুনর্গঠনের দুটি প্রধান ভুলের উৎস হলো কনফ্যাবুলেশন এবং সিলেকটিভ মেমোরি।
প্রথম ভুল, '''কনফ্যাবুলেশন''' হলো ভুলে যাওয়া বা তৈরি করে ফেলা ঘটনাকে সত্য স্মৃতি হিসেবে মেনে নেওয়া। এটি সাধারণত মস্তিষ্কে আঘাত বা মানসিক রোগে আক্রান্তদের মধ্যে দেখা যায়। যখন দীর্ঘমেয়াদী স্মৃতির গুরুত্বপূর্ণ অংশ হারিয়ে যায়, তখন মস্তিষ্ক সেই ফাঁক পূরণ করতে নতুন তথ্য তৈরি করে, যার ফলে বিভ্রান্তিকর স্মৃতি গড়ে ওঠে। এই সমস্যা ব্যক্তিভেদে এবং তার শারীরিক অবস্থা অনুযায়ী ভিন্ন হতে পারে।<ref>Nalbantian, edited by Suzanne; Matthews, Paul M., McClelland, James L. (2010). ''The memory process : neuroscientific and humanistic perspectives''. Cambridge, Mass.: MIT Press. <nowiki>ISBN 978-0-262-01457-1</nowiki>.</ref>
দ্বিতীয় ভুল, '''সিলেকটিভ মেমোরি''' (বাছাইকৃত স্মৃতি) হলো নেতিবাচক স্মৃতিগুলোকে সক্রিয়ভাবে দমন করা। অথবা, এটিকে ইতিবাচক স্মৃতিতে মনোযোগ কেন্দ্রীকরণও বলা যেতে পারে। এই কারণে স্মৃতি পুনর্গঠনে ভুল হয় কারণ রিকল প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়। কেউ যদি ইচ্ছাকৃতভাবে নেতিবাচক স্মৃতি ভুলে যেতে চায়, তবে তা পুনঃস্মরণ করা কঠিন হয়ে পড়ে, এমনকি সঠিক সংকেত থাকলেও।
== নির্দিষ্ট ঘটনা স্মরণ ==
সাধারণ তথ্য বা স্মৃতির পুনর্গঠন যেখানে প্রাসঙ্গিক ধারণা থেকে স্মৃতি তৈরি করে, নির্দিষ্ট ঘটনা যেমন জীবনের কিছু গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত স্মরণ করার প্রক্রিয়া কিছুটা আলাদা।<ref name="Bruning20113" /> এই অংশে আমরা নির্দিষ্ট ঘটনা স্মরণ করার বিষয়টি আলোচনা করবো। আমরা এপিসোডিক মেমোরির ভূমিকা ও কার্যকারিতা ব্যাখ্যা করবো এবং “ফ্ল্যাশবাল্ব মেমোরি” নামক একটি ঘটনাও বিশ্লেষণ করবো।
=== এপিসোডিক স্মৃতির ভূমিকা ===
'''এপিসোডিক মেমোরি''' বলতে বোঝায় "ব্যক্তিগত তারিখযুক্ত, আত্মজৈবনিক অভিজ্ঞতার সংরক্ষণ ও পুনরুদ্ধার"।<ref name="Bruning20113" /> এটি মূলত জীবনের ঘটনা সম্পর্কিত স্মৃতি যেমন—শৈশবের ঘটনা, গত গ্রীষ্মের ছুটি কোথায় কাটিয়েছিলেন, কিংবা গত রোববার সকালের নাশতায় কী খেয়েছিলেন তা মনে করা। এই ধরনের স্মৃতিগুলো সময় বা স্থান-সংক্রান্ত সংকেতের মাধ্যমে মনে পড়ে।<ref name="Bruning20113" /> রবিন, উইন এবং মস্কোভিচ ঘটনাভিত্তিক স্মৃতির রিকল প্রক্রিয়ায় স্থানিক প্রেক্ষাপটের প্রভাব নিয়ে গবেষণা করেছেন।<ref name="Robin2016">Robin, J., Wynn, J., & Moscovitch, M. (2016). The spatial scaffold: The effects of spatial context on memory for events. ''Journal Of Experimental Psychology: Learning, Memory, And Cognition'', ''42''(2), 308-315.</ref> তারা দেখতে চেয়েছেন, ঘটনাস্থলে থাকা কিংবা সেই স্থান সম্পর্কিত শ্রাব্য সংকেত শোনা কি স্মৃতি রিকল করতে সহায়তা করে।<ref name="Robin2016" /> তারা দেখতে পান, মানুষ বা স্থান—এই দুটি সংকেতের মধ্যে স্থান সংক্রান্ত সংকেত রিকলের জন্য বেশি কার্যকর, যদিও উভয় ক্ষেত্রেই পরিচিততা থাকলে ফলাফল ভালো হয়।<ref name="Robin2016" /> একটি মজার বিষয় হলো, <ref name="Robin2016" /> গবেষণায় এমনকি যখন কোনো ঘটনার জন্য স্থান নির্দিষ্ট করা হয়নি, তখনও অংশগ্রহণকারীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে স্থান নির্ধারণ করে নিয়েছেন। গবেষকরা জানান: "অংশগ্রহণকারীরা যেখানে কোনো স্থান নির্দিষ্ট করা হয়নি, সেখানে নিজেরাই স্থান সংযোজন করেছেন" <ref name="Robin2016" />। এছাড়া, যখন স্থানভিত্তিক এবং মানুষভিত্তিক সংকেতগুলোর তুলনা করা হয়, তখন দেখা যায় স্থানিক সংকেত দিয়ে স্মৃতি রিকল অধিক জীবন্ত ও বিস্তারিত হয়।<ref name="Robin2016" /> ফলে গবেষকরা সিদ্ধান্তে পৌঁছান যে, স্থানসংক্রান্ত সংকেত নির্দিষ্ট ঘটনা স্মরণে বেশি কার্যকর।<ref name="Robin2016" /> এই গবেষণা প্রমাণ করে যে, কোনো ঘটনার সময় ও স্থান স্মৃতির রিকলের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।
মনোবিজ্ঞানীদের মধ্যে এখনো একটি চলমান বিতর্ক রয়েছে যে '''পর্বধারিত স্মৃতি''' এবং '''অর্থবোধক স্মৃতি''', যা "সাধারণ ধারণা, নীতিমালা এবং তাদের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্কের স্মৃতি" হিসেবে সংজ্ঞায়িত, সেগুলো আলাদা ধরণের স্মৃতি কিনা।<ref name="Bruning20114" /> গবেষকরা অ্যামনেশিয়া আক্রান্ত ব্যক্তিদের মস্তিষ্কের কার্যকলাপ বিশ্লেষণ করছেন যারা আর পর্বধারিত স্মৃতি ফিরে পেতে সক্ষম নন।<ref name="Bruning20114" /> একটি গবেষণায় দেখা গেছে, '''আলঝেইমার রোগে''' আক্রান্ত ব্যক্তিরা, যা একটি ডিমেনশিয়া জাতীয় রোগ যা মস্তিষ্কের ক্রমাগত অবক্ষয়ে পরিচিত, তাদের পর্বধারিত স্মৃতির সব ক্ষেত্রেই গুরুতর দুর্বলতা দেখা যায়।<ref name="Irish2011">Irish, M., Lawlor, B. A., Coen, R. F., & O'Mara, S. M. (2011). Everyday episodic memory in amnestic mild cognitive impairment: A preliminary investigation. ''BMC Neuroscience'', ''12''doi:10.1186/1471-2202-12-80</ref>। সবচেয়ে গুরুতর দুর্বলতা দেখা যায় স্মৃতি অর্জন, বিলম্বিত পুনরুদ্ধার এবং পারস্পরিক সংযোগ ভিত্তিক স্মৃতিতে।<ref name="Irish2011" />
অ্যামনেশিয়া আক্রান্তদের উপর গবেষণা অনেক মনোবিজ্ঞানীকে '''অপ্রকাশ্য স্মৃতি''' সম্পর্কিত কার্যকারিতা নিয়ে অনুসন্ধান করতে অনুপ্রাণিত করেছে; এই ধরণের স্মৃতি হলো একটি স্বয়ংক্রিয় এবং অচেতনভাবে স্মৃতি সংরক্ষণের পদ্ধতি।<ref name="Bruning20114" /> লক্ষ্য করার মতো বিষয় হলো, অনেক সময় আমাদের স্মৃতি সচেতন মনের কাছে উপলব্ধ না থাকলেও, আগের কোনো ঘটনার কারণে তা আমাদের আচরণকে প্রভাবিত করতে পারে।<ref name="Bruning20114" /> প্রাথমিক তাত্ত্বিকরা বিশ্বাস করতেন যে "[স্বল্পমেয়াদি স্মৃতি] থেকে [দীর্ঘমেয়াদি স্মৃতি] তে মৌখিক উপকরণ স্থানান্তর করতে না পারাই অ্যামনেশিয়ার মূল কারণ ছিল।"<ref name="Bruning20114" /> তবে, এই মতবাদ পর্যাপ্ত ছিল না, কারণ পরবর্তীতে দেখা গেছে অ্যামনেশিয়া আক্রান্ত ব্যক্তিরা সব ধরণের দীর্ঘমেয়াদি মৌখিক স্মৃতিতে ভোগেন না।<ref name="Bruning20114" /> আরও গবেষণায় প্রকাশ পেয়েছে যে অ্যামনেশিয়া আক্রান্ত ব্যক্তিরা বানান লেখার মতো বিভিন্ন কাজ সম্পাদনের সময় অপ্রকাশ্য স্মৃতির ব্যবহার করতে সক্ষম, যা ইঙ্গিত করে যে অর্থবোধক স্মৃতি ও পর্বধারিত স্মৃতির মধ্যে আলাদা কোনো বিভাজন নেই।<ref name="Bruning20114" />
=== ফ্ল্যাশবাল্ব স্মৃতি ===
ফ্ল্যাশবাল্ব স্মৃতি হলো নির্দিষ্ট ঘটনাগুলো স্মরণ করার একটি বিশেষ ধরণের স্মৃতি। এই ধরণের স্মৃতি অত্যন্ত নির্দিষ্ট এবং সাধারণত এমন কোনো আবেগঘন ঘটনার সঙ্গে জড়িত যা ব্যক্তির জীবনে গুরুত্বপূর্ণ।<ref name="Lanciano2013">Lanciano, T., Curci, A., Mastandrea, S., & Sartori, G. (2013). Do automatic mental associations detect a flashbulb memory?. ''Memory'', ''21''(4), 482-493.</ref> উদাহরণস্বরূপ, কেউ ৯/১১ এর সন্ত্রাসী হামলার মতো আবেগঘন ঘটনা স্মরণ করার সময় ফ্ল্যাশবাল্ব স্মৃতি অনুভব করতে পারে। যদিও এই স্মৃতিগুলোকে নিখুঁত প্রতিফলন হিসেবে ভাবা হয়, গবেষণায় এর বিপরীত প্রমাণ পাওয়া গেছে; ফ্ল্যাশবাল্ব স্মৃতি আসলে পূর্বে যেমনটা ধরে নেওয়া হতো, ততটা নির্ভুল নয়।<ref name="Bruning20114" /> এ থেকে প্রশ্ন উঠে, ফ্ল্যাশবাল্ব স্মৃতি কি "একটি বিশেষ ধরণের আবেগঘন স্মৃতি", নাকি সেগুলোকে সাধারণ আত্মজৈবনিক স্মৃতি হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করা উচিত?<ref name="Lanciano2013" />
== পুনঃশিখন ==
পুনঃশিখন হলো হারিয়ে যাওয়া বা ভুলে যাওয়া তথ্য পুনরুদ্ধার করার প্রক্রিয়া, যেখানে একই উপকরণ প্রথমবার শেখার চেয়ে তুলনামূলকভাবে কম সময় লাগে। এই প্রক্রিয়া দেখায় যে আমাদের অজান্তেই স্মৃতির কিছু অংশ দীর্ঘমেয়াদে সংরক্ষিত থাকে। এর সমর্থনে বলা যায়, প্রথমবার শেখার তুলনায় আমরা হারিয়ে যাওয়া তথ্য পুনরায় শিখতে অনেক দ্রুত হই।<ref name="de Jonge2014">de Jonge, M., Tabbers, H. K., & Rikers, R. P. (2014). Retention beyond the threshold: Test-enhanced relearning of forgotten information. ''Journal Of Cognitive Psychology'', 26(1), 58-64. doi:10.1080/20445911.2013.858721</ref> একটি ভালো উদাহরণ হতে পারে, যখন একজন শিক্ষার্থী এলোমেলো কিছু শব্দ মুখস্থ করে, এবং পরে যখন কিছুই মনে করতে পারে না, তখন আবারো প্রক্রিয়াটি করে। প্রথমবার ও দ্বিতীয়বার শেখার সময়ের তুলনা করলে দেখা যায়, দ্বিতীয়বার অনেক কম সময় লাগে। পরবর্তী অংশে আমরা এ সংক্রান্ত অতীতের কিছু পরীক্ষার কথা দেখব।
=== পুনঃশিখনের পদ্ধতির ইতিহাস ===
হেরমান এববিংহাউস ছিলেন এই বিষয়ে প্রথম গবেষকদের একজন যিনি পুনঃশিখনের পদ্ধতি পরীক্ষা করেন। তিনি এমন কিছু অর্থহীন শব্দ মুখস্থ করতেন যতক্ষণ না নির্ভুলভাবে তা বলতে পারতেন।<ref name="Bruning20114" /> কিছু সময় পরে, যখন তার মেমোরি পুরোপুরি মুছে যেত, তিনি আবারো সেই শব্দগুলো মুখস্থ করতেন এবং প্রথম ও পরবর্তী চেষ্টার সংখ্যা তুলনা করতেন। দ্বিতীয়বার কম সময় লাগার অর্থ হলো, প্রাথমিক অধ্যায়ের কিছু তথ্য তার স্মৃতিতে রয়ে গেছে।<ref name="Bruning20114" />
তবে, আধুনিক স্মৃতি গবেষণায় পুনঃশিখনের পদ্ধতি এখনও তেমনভাবে অনুসন্ধান করা হয়নি, বরং স্মৃতিপরীক্ষার মতো পদ্ধতি আরও বেশি ব্যবহৃত হয়।<ref name="de Jonge2014" /> এর একটি কারণ হলো, জটিল উপকরণ পুনঃশিখনের সময় সঞ্চয় পরিমাপের ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত উপায়ের অভাব, কারণ এসব উপকরণ শুধু মুখস্থ নয়, গভীর বোঝাপড়াও দাবি করে।<ref name="Bruning20114" />
=== বিভক্ত বনাম গুচ্ছ অনুশীলন ===
যদিও ঠিক কীভাবে পুনঃশিখন ঘটে তা স্পষ্ট নয়, তবে গবেষণা বলছে শিক্ষার্থীরা কীভাবে অনুশীলন করে তা শেখা ও পুনঃশিখনের উপর বড় প্রভাব ফেলে। অনুশীলনের দুটি উপায় আছে যা আলাদা ফলাফল আনতে পারে। একটি হলো '''বিভক্ত অনুশীলন''' - নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে নিয়মিতভাবে অনুশীলন (যেমন, কোনো দক্ষতা সপ্তাহ বা বছর ধরে উন্নত করা)। বিপরীত হলো '''গুচ্ছ অনুশীলন''', যেখানে শিক্ষার্থী একবারেই নিবিড়ভাবে কোনো বিষয়ে কাজ করে (যেমন, পরীক্ষার আগের রাতে পড়া)।<ref name="Bruning20114" />
তথ্য সংরক্ষণ পরবর্তীতে বেশি কার্যকর হয় বিভক্ত অনুশীলন পদ্ধতিতে। তবে, যদি লক্ষ্য থাকে কেবল পরীক্ষায় পাশ করা বা অল্প কয়েকবার ব্যবহার করার মতো জ্ঞান অর্জন, তাহলে গুচ্ছ অনুশীলন বেশি কার্যকর হতে পারে।<ref name="Rohrer2006">Rohrer, D., & Taylor, K. (2006). The effects of overlearning and distributed practise on the retention of mathematics knowledge. ''Applied Cognitive Psychology'', 20(9), 1209-1224. doi:10.1002/acp.1266</ref> তাই, শিক্ষার উদ্দেশ্য নির্ধারণ করে শিক্ষার্থীরা কোন অনুশীলন পদ্ধতি গ্রহণ করবে।
একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে যে বিভক্ত অনুশীলন গণিত জ্ঞানের সংরক্ষণে ভালো ফল দেয়। বিশেষ করে Bahrick এবং Hall (1991) বিশ্লেষণ করেন কী পরিমাণ তথ্য শিক্ষার্থীরা ১ থেকে ৫০ বছর পর স্কুলের অ্যালজেবরা ও জ্যামিতি থেকে মনে রাখতে পারে। গবেষণায় দেখা যায়, শিক্ষার্থী যত বেশি স্তরের একই বিষয়ের ক্লাস করে, তার স্মৃতি তত ভালো থাকে।<ref name="Rohrer2006" />
গুচ্ছ অনুশীলনও কার্যকর হতে পারে, বিশেষ করে দুটি ক্ষেত্রে। এক হলো, যদি লক্ষ্য হয় বুঝে শেখা নয়, বরং নির্দিষ্ট কোনো আচরণ দেখানো যা উদ্দীপনা-প্রতিক্রিয়ার সম্পর্ক গড়ে তোলে। দ্বিতীয়টি হলো, যখন একজন বিশেষজ্ঞ যিনি ইতোমধ্যে পর্যাপ্ত জ্ঞান অর্জন করেছেন, তিনি এটি ব্যবহার করেন।<ref>Mumford, M. D., & Constanza, D. P. (1994). Influence of abilities on performance during practice: Effects of massed and distributed practice. ''Journal Of Educational Psychology'', 86(1), 134.</ref>
=== মস্তিষ্কে আঘাতের পর পুনঃশিখন ===
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র যেখানে পুনঃশিখন প্রয়োজন হয়ে ওঠে তা হলো, যখন মানুষ শুধু ঘোষণামূলক নয়, বরং এমন প্রক্রিয়াগত জ্ঞানও ভুলে যায় যা আমরা ছোটবেলা থেকেই শিখে আসছি। যখন মস্তিষ্কের বিভিন্ন অংশের মধ্যে কার্যকারিতা ব্যাহত হয়, তখন মোটর ও কগনিটিভ কার্যক্রম ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে দৈনন্দিন স্বাভাবিক কাজ করতেও সমস্যা হয়। এই ক্ষেত্রে পর্যবেক্ষণমূলক শেখা অত্যন্ত কার্যকর একটি পুনঃশিখনের কৌশল হিসেবে কাজ করে। অন্যদের নির্দিষ্ট কোনো কাজ করতে দেখলে রোগীরা তার মানসিক প্রতিফলন গড়ে তোলে।<ref name=":3">Liu, K. Y., Chan, C. H., Lee, T. C., & Hui-Chan, C. Y. (2004). Mental imagery for relearning of people after brain injury. ''Brain Injury'', 18(11), 1163-1172. doi:10.1080/02699050410001671883</ref> যদি যথেষ্ট উৎসাহ দেওয়া হয়, তাহলে এমন অনুশীলন রোগীদের জন্য ফলপ্রসূ হয় যারা মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করতে পারে এবং নিজস্ব আচরণ পরিকল্পনা ও সম্পাদনে সক্ষম।<ref name=":3" />
== পরীক্ষা একটি স্মৃতি অনুশীলন পদ্ধতি হিসেবে ==
পরীক্ষা নিয়ে ভাবলে, অধিকাংশ শিক্ষার্থী কেবল ফলাফল বা তাদের দক্ষতা ও জ্ঞানের একটি চূড়ান্ত মূল্যায়ন হিসেবেই তা বিবেচনা করে। তবে গবেষণা বলছে, পরীক্ষা নিজেই একটি শক্তিশালী শিক্ষণ পদ্ধতি হতে পারে। কাঙ্ক্ষিত ফলাফলের ওপর নির্ভর করে, পরীক্ষাগুলোকে শুধু মূল্যায়ন নয়, আরও কার্যকরভাবে পাঠক্রমে অন্তর্ভুক্ত করা যায়।
=== পরীক্ষার প্রভাব ===
'''পরীক্ষার প্রভাব''' নীতিমালাটি বলে যে, অধ্যয়নের সময় যদি শিক্ষার্থীদের ছোট ছোট পরীক্ষা ও কুইজের মাধ্যমে যাচাই করা হয়, তাহলে চূড়ান্ত পরীক্ষায় তারা ভালো করে।<ref name="Bruning20114" /> নির্দিষ্ট কিছু শর্তের অধীনে, পরীক্ষাগুলো পুনরায় পড়ার জন্য একই পরিমাণ সময় ব্যয় করার চেয়ে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের তথ্য পুনরুদ্ধারের উপর অনেক বেশি ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। এমনকি যদি পরীক্ষার পরে কোনো প্রতিক্রিয়া না দেওয়া হয় এবং পরীক্ষার পারফরম্যান্স নিখুঁত না হয়, তবুও পরীক্ষার মাধ্যমে শেখা বেশি উপকারি হতে পারে।<ref name="Bruning20114" />
তবে, যখন পরীক্ষার পরে বিশদ প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয় বা সফলতা অর্জন হয়, তখন ফল আরও ভালো হয়। গবেষণায় দেখা গেছে, সফল পরীক্ষার সংখ্যা যত বেশি, দীর্ঘমেয়াদি স্মৃতি পুনরুদ্ধার তত ভালো হয়। এমনকি আরও ভালো ফল পাওয়া যায় যদি এসব পরীক্ষা একাধিক দিনে বিভক্ত হয়ে নিয়মিতভাবে নেওয়া হয়।<ref>Rawson, K., Dunlosky, J., & Sciartelli, S. (2013). The Power of Successive Relearning: Improving Performance on Course Exams and Long-Term Retention. ''Educational Psychology Review'', 25(4), 523-548. doi:10.1007/s10648-013-9240-4</ref>
পরীক্ষা শিক্ষার্থীদের স্মৃতি পুনরুদ্ধারে অধ্যয়নের উপাদানগুলোর পাঠ পুনরায় পড়ার চেয়ে বেশি সহায়ক হওয়ার কয়েকটি কারণ রয়েছে। এই জাতীয় কারণগুলোর মধ্যে একটি হলো, এটি তাদের স্মৃতি থেকে তথ্য খুঁজে বের করে তা প্রয়োগ করার অনুশীলন করায়, যা একটি মানসিক চ্যালেঞ্জের ছোট চাপের মধ্যে রাখে। ফলে তাদের স্মৃতি শক্তির দক্ষতার উপর কাজ করার সুযোগ পায়। আবার যদি অনুশীলন ও চূড়ান্ত পরীক্ষার মধ্যে মিল থাকে, তাহলে তা স্মৃতি রক্ষায় প্রাসঙ্গিক সংকেত তৈরি করে, যা এনকোডিং ও ডিকোডিং পরিবেশের মধ্যে যোগসূত্র স্থাপন করে।<ref name="Bruning20114" />
=== পুনরুদ্ধারের জন্য পরীক্ষার উপর গবেষণা ===
শিক্ষার্থীরা সাধারণত ধরে নেয় যে পরীক্ষার প্রাথমিক লক্ষ্যটি পরে মূল্যায়ন করা উচিত, জ্ঞানীয় মনোবিজ্ঞানীরা দীর্ঘদিন ধরে পুনরুদ্ধার বাড়ানোর পরীক্ষার ক্ষমতা সম্পর্কে সচেতন ছিলেন। এটি যাচাই করার জন্য বেশ কয়েকটি গবেষণা পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছিল। প্রথমত, এটি শিক্ষার্থীদের নতুন উপাদান শিখতে হবে এবং তারপরে চূড়ান্ত পরীক্ষার আগে এটির উপর পরীক্ষা দিতে হবে বা না নিতে হবে। ফলাফল প্রমাণ করেছে যে যারা অতিরিক্ত পরীক্ষা নিয়েছিল তারা চূড়ান্ত পরীক্ষায় আরও ভাল পারফর্ম করেছে। এই জাতীয় পদ্ধতির সাথে কিছু গবেষক প্রশ্ন করেছেন যে ইতিবাচক ফলাফলগুলো পরীক্ষার উপর নির্ভর করে বা পরীক্ষার উপাদান সম্পর্কে অতিরিক্ত অনুস্মারক দ্বারা সৃষ্ট হয়েছিল কিনা। অতিরিক্ত গবেষণা পরিচালিত হয়েছিল যার জন্য শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক শেখার পরে একটি পরীক্ষা নিতে হবে বা পরীক্ষা না দিয়ে উপাদানটি পুনরায় অধ্যয়ন করতে হবে। চূড়ান্ত পরীক্ষায় আবার দেখা গেছে যে অতিরিক্ত পরীক্ষা নেওয়া শিক্ষার্থীরা চূড়ান্ত পরীক্ষায় আরও ভাল পারফর্ম করেছে। পরীক্ষিত উপাদানগুলোর প্রকৃতি হিসাবে, শব্দ, পাঠ্য এবং চিত্রগুলো মনে রাখার জন্য সমানভাবে উপকারী ফলাফল পাওয়া গেছে। সামগ্রিকভাবে, অসংখ্য গবেষণা পরিচালিত হয়েছিল যা এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছিল যে পরীক্ষাগুলো শেখার ফলাফলগুলোকে শক্তিশালী করে।
পুনরুদ্ধারের দক্ষতা রোডিগার এট আল এর "পরীক্ষার প্রভাব" দ্বারা উন্নত করা যেতে পারে। এই তত্ত্বটি চূড়ান্ত পরীক্ষার জন্য সামগ্রিক শিক্ষার উন্নতির প্রয়াসে অধ্যয়ন করা উপাদান সম্পর্কিত পরীক্ষাগুলো ব্যবহার করে। এই ধরণের পুনরুদ্ধার অনুশীলনের সুবিধাগুলো সম্পর্কে একটি গবেষণায় পরীক্ষা করা হয়েছে যে পুনরুদ্ধার অনুশীলনের সুবিধাগুলো হ্রাসমূলক অনুমানগুলোতে স্থানান্তর করতে পারে কিনা। ফলাফলগুলো দেখায় যে পরীক্ষার শর্তে শিক্ষার্থীরা বিষয়বস্তুর আরও ভাল চূড়ান্ত-পরীক্ষার প্রত্যাহার তৈরি করেছে তবে বহুনির্বাচনী স্বীকৃতি প্রশ্নে কোনও উন্নতি হয়নি। বেশিরভাগ শিক্ষণ সরাসরি নির্দেশের মাধ্যমে ঘটে এবং পরীক্ষাগুলো কেবল অগ্রগতি পরিমাপ করতে এবং গ্রেড নির্ধারণের জন্য প্রয়োগ করা হয়, তবে, পরীক্ষার প্রভাবটি দেখায় যে পরীক্ষাগুলো এনকোডিং এবং তথ্য পুনরুদ্ধারের উন্নতি করতে শেখার কৌশল হিসাবে ব্যবহার করা যেতে পারে। এটি "শেখার হিসাবে মূল্যায়ন" হিসাবে পরিচিত।
= শ্রেণিকক্ষ প্রসঙ্গ/কৌশল =
এই বিভাগে এনকোডিং এবং পুনরুদ্ধারের সাথে সম্পর্কিত বিভিন্ন কৌশল এবং শেখার প্রসঙ্গগুলোর উদাহরণ এবং আলোচনা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। কৌশলগুলোর মধ্যে অনেকগুলো ওভারল্যাপিং বা পুনরাবৃত্তিমূলক প্রক্রিয়াগুলোতে এনকোডিং এবং পুনরুদ্ধার উভয় অনুশীলনের উদাহরণ অন্তর্ভুক্ত করে, যেমন স্ক্যাফোল্ডিং, অধ্যয়নের কৌশল বা পিয়ার টিউটরিং; এই ধারণাগুলো বিশেষত এনকোডিং বা পুনরুদ্ধারের উল্লেখ না করে কিছু ক্ষেত্রে উপস্থাপিত হয়। গল্প বলার বিভাগটি উভয় প্রক্রিয়াকে আরও পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে সম্বোধন করে এবং বেশ কয়েকটি পৃথক উদাহরণ উপস্থাপন করে। প্রতিটি কৌশল প্রসঙ্গে বিবেচনা করা আবশ্যক, এবং শেখার বিভিন্ন দিক বা ধরনের সমর্থন করার জন্য অনন্য সুবিধা প্রদান করে (প্রকৃত তথ্য মুখস্থকরণ, ধারণাগত পরিবর্তন, পদ্ধতিগত জ্ঞান অর্জন)।
== আত্ম-ব্যাখ্যা ==
[
'''তত্ত্ব''' স্ব-ব্যাখ্যা একটি দরকারী স্বাধীন কৌশল যেখানে শিক্ষার্থীরা পরিষ্কার, সচেতন এবং আরও সংগঠিত বোঝার সুবিধার্থে তাদের চিন্তাভাবনাকে মৌখিক করে। উদাহরণস্বরূপ, যদি কোনও শিক্ষার্থী স্ব-ব্যাখ্যা কৌশলটি ব্যবহার করে কোনও গণিতের সমস্যা মোকাবেলা করে তবে তারা প্রতিটি পদক্ষেপ ব্যাখ্যা করে, প্রতিটি পদক্ষেপ সমাধানের জন্য তারা কী করবে এবং কেন তারা এটি করবে তা ব্যাখ্যা করে সমস্যার মাধ্যমে কাজ করবে। যদি তারা দেখতে পায় যে তারা কেন এটি করেছে তা ব্যাখ্যা করতে সক্ষম নয়, তবে তারা ফিরে যেতে পারে এবং অন্য উত্স থেকে ব্যাখ্যা সন্ধান করতে পারে। একইভাবে আমরা অন্যকে শেখানোর মাধ্যমে শিখতে সক্ষম হই, আত্ম-ব্যাখ্যা উপাদানটিকে নিজের বোঝার স্তরে ভেঙে কার্যকরভাবে নিজেকে শেখানোর মাধ্যমে কাজ করে।
'''গবেষণা''' আরও বোঝার জন্য, রায় ও চি[ এর একটি নিবন্ধ উচ্চমানের স্ব-ব্যাখ্যা এবং নিম্নমানের স্ব-ব্যাখ্যার মধ্যে পার্থক্য করে। প্রাক্তনটি এমন শিক্ষার্থীদের বর্ণনা করে যারা অনুমান, মন্তব্য এবং সংহত বিবৃতিগুলোর মাধ্যমে তাদের শেখার প্রতিচ্ছবি প্রদর্শন করতে সক্ষম হয়ে উপাদানটির আরও সমালোচনামূলক বোঝাপড়া দেখিয়েছে। পরেরটি এমন শিক্ষার্থীদের বর্ণনা করে যারা কেবল তারা যা পড়েছে তা পুনরায় বর্ণনা করে। দু'জনকে চিনতে সক্ষম হওয়া গুরুত্বপূর্ণ কারণ যারা উচ্চমানের স্ব-ব্যাখ্যায় অংশ নেয় তারা কেবল পরীক্ষার পরে আরও ভাল ফলাফল তৈরি করতে সক্ষম হয় না, তবে দরিদ্র শিক্ষার্থীদের বিপরীতে ভাল শিক্ষার্থী হওয়ার সম্ভাবনাও বেশি থাকে (এই শিক্ষার্থীদের আগে পরীক্ষা করা হয়েছিল এবং তাদের স্কোর অনুসারে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছিল)। রয় অ্যান্ড চি আরেকটি গবেষণার দিকেও নজর দিয়েছিলেন যা চারটি ভিন্ন ধরণের স্ব-ব্যাখ্যা দেখায় - দুটি সফল এবং দুটি ব্যর্থ। নীতি-ভিত্তিক ব্যাখ্যাকারীরা তারা যা শিখেছে তা বিষয়টির নীতিগুলোর সাথে সংযুক্ত করতে পারে এবং প্রত্যাশিত ব্যাখ্যাকারীরা পড়ার আগে ভবিষ্যদ্বাণী করে এবং অতীতের প্রাসঙ্গিক উপাদানের সাথে সফলভাবে সংযুক্ত করতে পারে। গবেষণায় বেশিরভাগ শিক্ষার্থী ব্যর্থ ধরণের বিভাগে পড়ে, যার মধ্যে প্যাসিভ ব্যাখ্যাকারী এবং অগভীর ব্যাখ্যাকারী অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। তারা উপসংহারে পৌঁছেছে যে শিক্ষার্থীরা স্ব-ব্যাখ্যা করার জন্য তাদের দক্ষতার মধ্যে পরিবর্তিত হয় এবং এই বৈচিত্রগুলো কোনও শিক্ষার্থীর উত্পাদিত ফলাফলের গুণমানকে অনুমান করতে পারে।
'''প্রয়োগ''' ওয়াইলি এবং চি[ স্ব-ব্যাখ্যার বিভিন্ন রূপ বর্ণনা করে যা তাদের এক বা একাধিক ব্যবহৃত পদ্ধতির অধীনে রেখে শ্রেণিবদ্ধ করা যেতে পারে। ব্যবহৃত পদ্ধতিগুলোর মধ্যে একটি ওপেন এন্ডেড পদ্ধতি অন্তর্ভুক্ত ছিল, প্রথমটি হলো যাতে শিক্ষার্থীদের পূর্বের জ্ঞানের সাথে সম্পর্কিত করে এবং তারা যা জোরে জোরে পড়েছে তা ব্যাখ্যা করে উপাদানটির আরও সংযোগ এবং বোঝার বিষয়টি নিশ্চিত করতে বলা হয়। আরেকটি অনুরূপ ওপেন এন্ডেড পদ্ধতি শিক্ষার্থীদের জন্য কম্পিউটার ব্যবহার করে উপাদানটি কণ্ঠস্বর করার পরিবর্তে উপাদান সম্পর্কে তাদের বোঝার প্রকাশ করে। বর্ণালীটির অন্য প্রান্তে কিছু কম উন্মুক্ত পদ্ধতি ছিল যা শিক্ষার্থীদের একাধিক পছন্দের তালিকা থেকে কেন ভুল উত্তর দিয়েছিল তার ব্যাখ্যা বাছাই করার প্রয়োজন ছিল। উভয় চরমপন্থার সুবিধা এবং অসুবিধা রয়েছে, ওপেন এন্ডেড পদ্ধতিগুলো খুব অনিয়ন্ত্রিত হলেও শিক্ষার্থীদের অবাধে নিজেদের মূল্যায়ন করার অনুমতি দেয়, যা নতুন এবং বিভিন্ন ধারণার অনুমতি দিতে পারে। অন্যদিকে, মেনু টাইপ পদ্ধতিগুলো খুব সীমাবদ্ধ হতে পারে তবে শিক্ষার্থীরা যে অপ্রাসঙ্গিক বা ভুল ব্যাখ্যা দিতে পারে তা দূর করুন।
== স্ক্যাফোল্ডিং সংক্রান্ত নির্দেশনা ==
'''স্ক্যাফোল্ডিং''' লার্নিং আরেকটি শ্রেণীকক্ষ কৌশল যা শিক্ষাবিদদের কাছে খুব জনপ্রিয়। এটি একটি ধাপে ধাপে প্রক্রিয়া জড়িত যেখানে শিক্ষাবিদ ক্রমাগত পৃথক শিক্ষার্থীদের জন্য সহায়তা প্রদান করে কারণ তারা বিষয়টি বোঝার ক্ষেত্রে অগ্রসর হয়। শিক্ষক তাদের জ্ঞান বিকাশের জন্য শিক্ষার্থীদের গতির চারপাশে কাজ করেন। এর প্রভাব রয়েছে, যার মধ্যে সময়ের অভাব এবং এটি একটি সম্ভাব্য কাজ হওয়ার জন্য খুব বড় শ্রেণিকক্ষের আকার অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এটি বলার সাথে সাথে, পর্যাপ্ত সময় এবং যথেষ্ট ছোট শ্রেণিকক্ষের আকার দেওয়া, স্ক্যাফোল্ডিং শেখার নির্দেশনা সরবরাহ করা অত্যন্ত কার্যকর শিক্ষার ফলাফল অর্জন করতে পারে।
কাবাত-জিন (২০১৫) এর একটি নিবন্ধে, তিনি স্ক্যাফোল্ডিংটির পতন নিয়ে আলোচনা করেছেন। যদিও এই মুহুর্তে স্ক্যাফোল্ডিং শিক্ষার্থীদের সমর্থন করার একটি দুর্দান্ত উপায় হতে পারে, তবে এটি শেষ পর্যন্ত ক্ষতিকারক হয়ে উঠতে পারে কারণ শিক্ষার্থীরা এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত সহায়তার উপর নির্ভরশীল হয়ে উঠতে পারে। অন্যান্য ক্ষেত্রে, স্ক্যাফোল্ডিং নির্দেশনা নির্ভরতার অনুভূতি ছেড়ে যাওয়ার বোঝা বহন করে না। ইউক্রেনেটজ (২০১৫) দ্বারা করা একটি গবেষণায় শিক্ষার্থীরা যারা পড়ার বোধগম্যতার সাথে লড়াই করেছিল তারা একটি পাঠ্য বোঝার প্রোগ্রামে অংশ নিয়েছিল যেখানে তাদের দক্ষতা উন্নত করার জন্য তাদের ব্যবহারিক এবং সুস্পষ্ট কৌশল দেওয়া হয়েছিল। এটি এমন উপায়গুলো নিয়ে আলোচনা করে যেখানে শিক্ষার্থীরা তাদের স্পিচ ল্যাঙ্গুয়েজ প্যাথলজিস্টদের দ্বারা সমর্থিত থেকে তাদের নিজস্ব জ্ঞান দ্বারা সমর্থিত হওয়ার জন্য সফলভাবে রূপান্তরিত হয়।
== পড়াশোনা ==
অনেক ধরণের অধ্যয়নের কৌশল রয়েছে যা শিক্ষার্থীদের শেখানো হয়- যদিও প্রায়শই, শিক্ষার্থীরা কৌশলগুলো ব্যবহার করে না। এই অধ্যায়ে, তারা যে জনসংখ্যার সাথে সবচেয়ে ভাল কাজ করে তার সাথে বিভিন্ন কৌশলগুলো দেখা হবে। এটি তাদের ব্যবহৃত অধ্যয়ন কৌশলগুলোর সাথে সম্পর্কিত পৃথক গ্রুপ হিসাবে শিক্ষার্থীদের বিশ্লেষণ ও অধ্যয়ন করবে। শিক্ষক, গৃহশিক্ষক এবং পিতামাতা সহ সহকর্মী এবং প্রাপ্তবয়স্কদের '''অনুপ্রেরণা''' এবং সামাজিক সমর্থনও বিভিন্ন অধ্যয়ন কৌশলগুলোর কার্যকারিতার একটি কারণ হিসাবে দেখা হবে। আমরা সামগ্রিকভাবে অধ্যয়নের পরিবর্তে পৃথক গোষ্ঠীর সাথে সম্পর্কিত অধ্যয়নের দিকে নজর দেব। অতিরিক্তভাবে, অধ্যয়নের কৌশলগুলো বিভিন্ন বিষয় এবং পরীক্ষার বিভিন্ন ফর্ম অনুসারে বিভক্ত এবং শ্রেণিবদ্ধ করা যেতে পারে।
=== পিয়ার টিউটরিং ===
'''তত্ত্ব''' পিয়ার টিউটরিং শেখার একটি পদ্ধতি যেখানে সহপাঠীরা একে অপরের কাছ থেকে একের পর এক সরাসরি নির্দেশের মাধ্যমে শিক্ষা দেয় এবং শিখে। অনেক স্কুল, বিশেষত মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলো পুরো ক্লাস হিসাবে এই কৌশলটি প্রয়োগ করেছে। এর উদ্দেশ্যগুলো শিক্ষার্থীদের এটি শেখাতে সক্ষম হওয়ার জন্য যথেষ্ট গভীরভাবে উপাদান প্রক্রিয়া করতে সক্ষম হতে এবং টিউটিদের চাপ ছাড়াই পরিবেশে শিখতে সক্ষম হওয়ার দিকে পরিচালিত হয়। সাধারণত, টিউটররা আরও ভাল পারফর্মিং শিক্ষার্থী, সম্ভবত যারা আগে যে ক্লাসটি পড়াচ্ছেন তা গ্রহণ করেছেন। পিয়ার টিউটরিংয়ের কয়েকটি চ্যালেঞ্জ, যেমন একটি নিবন্ধে বলা হয়েছে মিনার্ড এবং আলমারজুকি এই সত্যটি অন্তর্ভুক্ত যে শিক্ষার্থীরা, বিশেষত উচ্চ বিদ্যালয়ে, অগত্যা একসাথে নাও থাকতে পারে এবং এইভাবে সমস্ত শিক্ষার্থীর সমন্বয় করা কঠিন হয়ে যায়। অতিরিক্তভাবে, কোনও গ্যারান্টি নেই যে টিউটর এবং টিউটিরা ধারাবাহিকভাবে ক্লাসের জন্য প্রদর্শিত হবে। পেশাদার শিক্ষাবিদদের মধ্যেও একটি ভয় রয়েছে যে শিক্ষার্থীদের তাদের সহকর্মীদের মধ্যে কার্যকরভাবে অন্য একজনকে শেখানোর পর্যাপ্ত তথ্য বা ক্ষমতা নেই।
'''গবেষণা''' কর্নার অ্যান্ড হপফের একটি গবেষণায় পদার্থবিজ্ঞানে ক্রস-এজ পিয়ার টিউটরিংয়ের দিকে বিশেষভাবে নজর দেওয়া হয়েছিল, যেখানে টিউটররা গ্রেড ৮ এ এবং টিউটিরা ৫ ম গ্রেডে ছিল। একটি প্রাক-পরীক্ষা-পরবর্তী নকশা ব্যবহার করে, তাদের তিনটি প্রধান গ্রুপ ছিল যার প্রত্যেকটিতে টিউটর, টিউটি বা টিউটর এবং টিউটি এবং দুটি পরামর্শদাতা গ্রুপ ছিল যা টিউটরিংয়ের আগে উপাদানগুলোর মাধ্যমে তাদের গাইড করবে। ফলাফলে দেখা গেছে যে কোন গ্রুপ টিউটরিং করছে তা কোন ব্যাপার না, সমস্ত গ্রুপ টিউটর, মেন্টর এবং টিউটিদের উপর ইতিবাচক প্রভাব দেখিয়েছিল, বিশেষত যখন শিক্ষার্থীরা টিউটরিংয়ের সক্রিয় ভূমিকায় অংশ নিয়েছিল। সাহিত্যের তাদের পর্যালোচনাতে, তারা অতীতের অধ্যয়নগুলোও বিবেচনা করে যেখানে "তারা শিক্ষার্থীদের কৃতিত্ব, বিষয়টির প্রতি মনোভাব এবং স্ব-ধারণাগুলো কেবল টিউটরিং শিক্ষার্থীদের জন্যই নয়, টিউটিদের জন্যও ইতিবাচক প্রভাবের উপর জোর দিয়েছিল। পিয়ার টিউটরিং টিম ওয়ার্ক এবং নেতৃত্বের ভূমিকা গ্রহণের মতো বিভিন্ন আন্তঃব্যক্তিক দক্ষতা বৃদ্ধি করেছিল। একইভাবে, অন্য একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে পিয়ার টিউটরিং দুর্বল সংখ্যালঘু শিক্ষার্থীদের উপকৃত করে যারা নিম্ন আয়ের এবং / অথবা দরিদ্র আর্থ-সামাজিক পরিবার থেকে এসেছিল যদি তারা শিক্ষার ঐতিহ্যগত উপায়গুলো মেনে চলে। পার্থক্যটি হলো পিয়ার টিউটর এবং টিউটিরা এমন সম্পর্ক তৈরি করতে সক্ষম হয় যা শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকরা পারে না। প্রভাব, প্রদত্ত যে সিস্টেমটি সংগঠিত, কাঠামোগত এবং স্পষ্টভাবে বোঝা যায়, টিউটর এবং টিউটি উভয়ের একাডেমিক কৃতিত্ব এবং স্ব-কার্যকারিতা বোধের উপর ইতিবাচক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
'''প্রয়োগ''' শেখার একটি মোটামুটি নতুন পদ্ধতি হওয়ায়, পিয়ার টিউটরিং এখনও বিকাশের প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। বিভিন্ন স্তরের স্কুল, প্রাইভেট এবং পাবলিক স্কুল, বিভিন্ন দেশ ইত্যাদি সহ স্কুল সিস্টেমগুলো বিভিন্ন কারণের মধ্যে পরিবর্তিত হয়। এই কারণে, শ্রেণিকক্ষে পিয়ার টিউটরিং প্রয়োগ করা যেতে পারে এমন বিভিন্ন উপায় রয়েছে।
আইভাজো এবং আলজিডেফের একটি নিবন্ধ[ ক্লাসওয়াইড পিয়ার টিউটরিং (সিডাব্লুপিটি) এবং অভ্যন্তরীণ-শহরের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে এর কাঠামো নিয়ে আলোচনা করেছে। সিডাব্লুপিটির প্রথম পদক্ষেপটি হলো টিউটরদের প্রশিক্ষণ দেওয়া। শিক্ষকরা প্রথমে টিউটরদের তাদের দক্ষতার নির্দেশ দেন এবং টিউটররা তখন তারা যা শিখেছেন তা শেখানোর অনুশীলন করতে হয়। এটি হওয়ার সাথে সাথে শিক্ষকরা শিক্ষার্থী থেকে শিক্ষার্থীতে চলে যাবেন, তাদের মূল্যায়ন করবেন এবং শিক্ষার্থীদের সংশোধন করার অনুমতি দেওয়ার জন্য সমালোচনা সরবরাহ করবেন। এরপরে, তারা যে দক্ষতাগুলো ভালভাবে করেছে তা পরীক্ষা করার জন্য এবং তাদের কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতাগুলো অতিক্রম করার জন্য তাদের একটি পারফরম্যান্স রেকর্ড শীট দেওয়া হয়। এই জুড়ে, শিক্ষার্থীরা আন্তঃব্যক্তিক বৃদ্ধি সম্পর্কে পাঠ শিখতে থাকে, যেমন কীভাবে তাদের সমবয়সীদের যথাযথভাবে গ্রহণ করা যায় এবং প্রতিক্রিয়া জানানো যায়। এর পরে, শিক্ষার্থীরা তাদের ভূমিকা গ্রহণের জন্য প্রস্তুত হয়ে ওঠে কারণ তারা টিউটি এবং টিউটর উভয়ই গ্রহণ করে। এই পালা গ্রহণ সুবিধাজনক কারণ এটি শিক্ষার্থীদের উভয় ভূমিকা থেকে উপকার কাটাতে দেয়, কারণ তারা আরও ভাল শিক্ষার্থী এবং শিক্ষক হতে শেখে। এটি হীনমন্যতা বা শ্রেষ্ঠত্বের অনুভূতিও দূর করে, কারণ কিছু শিক্ষার্থীকে অন্যের চেয়ে বেশি যোগ্য বলে মনে করার পরিবর্তে সমস্ত শিক্ষার্থীকে একে অপরকে শেখানোর সুযোগ দেওয়া হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে, ব্র্যান্ডট এবং ডিমিটের একটি গবেষণা[ স্কুলে লেখার কেন্দ্রগুলো তাদের নির্দিষ্ট অধ্যয়ন দ্বারা পৃথক করা পিয়ার টিউটরদের জন্য একটি সেটিং হিসাবে ব্যবহার করে। টিউটররা একটি স্ক্রিনিং প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যায় যার মধ্যে তাদের অবশ্যই বেশ কয়েকটি নির্দিষ্ট, নির্বাচিত কোর্স সম্পন্ন করতে হবে, কমপক্ষে ৩.৫ জিপিএ থাকতে হবে এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক বর্ণিত অন্যান্য মানদণ্ড পূরণ করতে হবে। গৃহশিক্ষক হিসেবে তাদের সোজাসাপ্টা দিকনির্দেশনার পরিবর্তে শিক্ষার্থীদের স্ক্যাফোল্ডিং বেঁধে শেখানো হয়। তারা একটি ছাত্র-কেন্দ্রিক পদ্ধতির শিক্ষা দেয় এবং এই পদ্ধতিগুলো কেন ব্যবহার করা হয় তা বুঝতে টিউটরদের উত্সাহিত করে। এই লেখার কেন্দ্রগুলোতে ব্যবহৃত পদ্ধতিগুলো তাদের ভাড়া করা শিক্ষক এবং অধ্যয়নের বিন্যাসের ক্ষেত্রে সুসংগঠিত বলে মনে হয়েছিল। লেখার কেন্দ্রগুলোকে নিশ্চিত করতে হয়েছিল যে টিউটররা তাদের শিক্ষার্থী-কেন্দ্রিক পদ্ধতির ব্যবহারে খাঁটি ছিল তা এই প্রোগ্রামের সাফল্যকে ব্যাপকভাবে সহায়তা করেছিল। একটি পিয়ার টিউটরিং সিস্টেম যখন এটি প্রয়োগ করা হয় তখন কেবল কাজ করে না; এটি অবশ্যই পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরিকল্পনা করা উচিত এবং এর উদ্দেশ্যগুলো কী তা সমস্ত অংশগ্রহণকারীদের কাছে পরিষ্কার করা উচিত। এই পিয়ার টিউটরিং পদ্ধতির প্রভাবগুলো পদ্ধতির এবং স্পষ্ট নির্দেশিকা অনুসরণ করার উপর নির্ভর করে।
এটি স্পষ্ট যে পিয়ার টিউটরিং কৌশলগুলো ঝুঁকিপূর্ণ শিক্ষার্থীদের সাথে স্কুলগুলোতে বিশেষত ভাল ভাড়া দেয়, কারণ এটি এই শিক্ষার্থীদের সহকর্মীদের সাথে কাজ করতে দেয় যাদের সাথে তাদের সম্ভবত আরও মূল্যবান এবং অর্থপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। উপরন্তু, অসামাজিক ছাত্রদের জন্য, এটি মিথস্ক্রিয়া একটি সূচনা পয়েন্ট তৈরি করে- যা প্রায়ই বন্ধু তৈরীর সবচেয়ে কঠিন অংশ হতে পারে। পিয়ার টিউটরিংয়ের একটি কার্যকর পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়, এটি শিক্ষার্থীদের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে এমন সম্ভাবনা কম এবং সম্ভবত এটি শিক্ষার্থীদের আত্মবিশ্বাস, একাডেমিক কৃতিত্ব, সহকর্মী সম্পর্ক এবং আন্তঃব্যক্তিক দক্ষতার উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
=== নোট গ্রহণ, সংক্ষিপ্তকরণ এবং পুনরায় পড়া ===
'''তত্ত্ব''' কারণ অধ্যয়নের সময় কৌশলগুলো তাদের সহকর্মী এবং শিক্ষকদের পরিবর্তে একজন ব্যক্তির অনুপ্রেরণা এবং প্রচেষ্টার উপর নির্ভরশীল, তারা একজন শিক্ষার্থীর বিকাশ এবং একাডেমিক কৃতিত্বে প্রধান ভূমিকা পালন করে। শিক্ষার্থীরা তাদের তরুণ বয়সে যে অভ্যাস এবং উপলব্ধি অর্জন করে তা সারা জীবন ধরে চলতে পারে। নোট নেওয়ার প্রভাবগুলো পৃথক হতে পারে কারণ এটি বক্তৃতার সময় বা পড়ার সময় ঘটতে পারে। একইভাবে, উপাদান সংক্ষিপ্ত করার বিভিন্ন ফলাফল থাকতে পারে, আপনি উপাদানটি স্মরণ করছেন কিনা বা আপনি সংক্ষিপ্ত করার সাথে সাথে সরাসরি উপাদানটি উল্লেখ করছেন কিনা তার উপর নির্ভর করে। নোট গ্রহণ, সংক্ষিপ্তকরণ, পুনরায় পড়া এবং হাইলাইট সহ এই কৌশলগুলোর কার্যকারিতা বিভিন্ন কারণের উপর নির্ভর করে, যার মধ্যে কয়েকটি আমরা সাহিত্য বিশ্লেষণ করার সময় দেখা হবে।
'''গবেষণা''' ডায়ার এবং রাইলির একটি গবেষণা অধ্যয়নের কৌশল হিসাবে স্বতন্ত্রভাবে এবং সহযোগিতামূলকভাবে নোট গ্রহণ, সংক্ষিপ্তকরণ এবং পুনরায় পড়ার প্রভাবগুলো দেখায়। প্রতিটি শিক্ষার্থীকে একটি অনুচ্ছেদ সহ নির্দেশাবলী সহ একটি খাম দেওয়া হয়, তাদের বলে যে তারা নোট নেওয়া, পড়া, সংক্ষিপ্তসার এবং / অথবা একটি সম্পর্কহীন কাজ করার একটি এলোমেলো সংমিশ্রণ করতে হবে। যে শিক্ষার্থীরা নোট নেওয়া বা পুনরায় পড়ার মাধ্যমে উত্তরণটি পর্যালোচনা এবং অধ্যয়ন করতে বেশি সময় ব্যয় করতে সক্ষম হয়েছিল তাদের উপাদানটির রেফারেন্স ছাড়াই স্মরণ করে উপাদানটির সংক্ষিপ্তসার করে তাদের চেয়ে পরীক্ষার পরবর্তী ফলাফল আরও ভাল ছিল। অন্যদিকে যারা পড়ার পর সম্পর্কহীন কোনো কাজ করেছেন তাদের পারফরম্যান্স স্কোর সবচেয়ে কম। লুডাস (১৯৮০) এর একটি মেটা-বিশ্লেষণ নোট গ্রহণের উপর সঞ্চিত অধ্যয়ন এবং তথ্য স্মরণে এর প্রভাবের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে। পূর্ববর্তী গবেষণায় দেখা গেছে যে নোট নেওয়া হয় ইতিবাচক বা কোনও পার্থক্য নেই, তবে ফলাফলগুলোতে কখনই নেতিবাচক নয়। নোট নেওয়া উপযুক্ত পরিবেশে সর্বোত্তম, যেমন বক্তৃতাগুলো ধীর গতির, ভিডিওগুলোর সময় নোট নেওয়ার বিপরীতে। দ্রুত গতির বক্তৃতা চলাকালীন, কেউ কী লিখছে সে সম্পর্কে চিন্তাভাবনা করার পরিবর্তে তারা যা শুনেছে তা হুবহু লিখতে পারে। নোট নেওয়ার দক্ষতার দিকে তাকানোর সময় সময়ও একটি ফ্যাক্টর - সেই ১৫ মিনিটের মধ্যে একজনের পক্ষে কার্যকরভাবে শোনার এবং মনে রাখা নোট নেওয়ার প্রক্সিমাল সময়।
'''প্রয়োগ''' নোট গ্রহণ, সংক্ষিপ্তকরণ এবং পুনরায় পড়া এমন কৌশলগুলো যা অনেক শিক্ষার্থী ব্যবহার করে কারণ এগুলো প্রায়শই অধ্যয়ন সম্পর্কে শেখানো প্রথম জিনিস। এগুলো খুব স্ব-ব্যাখ্যামূলক, যদিও এই কৌশলগুলোতে প্রযুক্তির যে প্রভাব রয়েছে তা উল্লেখ করা গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এগুলো সমস্ত ল্যাপটপ, কম্পিউটার এবং ট্যাবলেটগুলোতে করা যেতে পারে। সর্বোপরি, এটা স্পষ্ট যে, যে-কাজগুলো শেখানো বিষয়বস্তুকে আরও বেশি করে পর্যালোচনা করার সুযোগ করে দেয়, সেগুলো যা শেখা হয় তা আরও ভালভাবে বজায় রাখতে সাহায্য করে. নোট নেওয়ার জন্য আমরা আমাদের নিজের ভাষায় কী পড়ছি তা বোঝার জন্য পাঠ্যটি পুনরায় পড়া এবং বোঝার প্রয়োজন, এইভাবে এটি ধ্রুবক পর্যালোচনা প্রয়োজন। বক্তৃতা গ্রহণ নোট শিক্ষার্থীদের এমন উপাদান সরবরাহ করে যা পর্যালোচনা করার জন্য তাদের বোঝার জন্য লিখিত হয়, প্রদত্ত যে ক্লাসটি নোট গ্রহণের জন্য একটি অনুকূল পরিবেশ সরবরাহ করে।
== গল্প ও গল্প বলা ==
এমন একটি অভিজ্ঞতার কথা চিন্তা করার চেষ্টা করুন যেখানে একজন শিক্ষক আপনাকে একটি গল্প বলেছিলেন। আমার জন্য, আমি আমার ইঞ্জিনিয়ারিং থার্মোডাইনামিক্স কোর্সের জন্য আমার অধ্যাপকের কথা ভাবছি যা তাপ স্থানান্তর নিয়ে কাজ করে। এই বিশেষ অধ্যাপকও একটি স্থানীয় প্রকৌশল সংস্থার একজন কর্মচারী ছিলেন এবং তিনি সর্বদা তার কর্মক্ষেত্র থেকে গল্পগুলো শ্রেণিকক্ষে নিয়ে আসতেন। যখন আমরা গণনা করতে এক্সেল ব্যবহার করতে শিখছিলাম, তখন আমি স্পষ্টভাবে মনে করতে পারি যে তিনি কীভাবে তার ইঞ্জিনিয়ারিং সংস্থায় এক্সেল ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয় সে সম্পর্কে আমাদের স্পষ্টভাবে বলেছিলেন। এটি আমি তার ক্লাসে যা শিখছিলাম তাতে অর্থ এবং প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে এসেছিল। পরে যখন আমি একটি ইঞ্জিনিয়ারিং সংস্থায় কাজ করতে গিয়েছিলাম, তখন আমার সেই অধ্যাপকের গল্পটি মনে পড়েছিল যখন আমাকে আমার কাজের জন্য এক্সেল ব্যবহার করতে হয়েছিল। গল্প বলা একটি সাধারণভাবে ব্যবহৃত শেখার / শিক্ষণ কৌশল যা শিক্ষকরা ব্যবহার করেন যা শিক্ষার্থীদের তথ্য এনকোড এবং স্মরণ করার ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে পারে। গল্প বলার নাম অনুসারে এর অভিধান সংজ্ঞা অনুসারে "গল্প বলা বা লেখা একটি গল্প একটি আখ্যান হিসাবে সংজ্ঞায়িত করা হয় যা বিমূর্ত এবং কংক্রিট ধারণার মধ্যে সংযোগ প্রদান করতে পারে।
গল্প এবং আখ্যান শব্দটি একচেটিয়াভাবে ব্যবহার করা যেতে পারে, এবং একটি আখ্যানকে "বলা বা লেখা একটি গল্প" হিসাবে সংজ্ঞায়িত করা হয় যা "ঘটনার ক্রমের পুনর্বিবেচনা"। আখ্যানগুলো সাধারণত নিম্নলিখিত উপাদানগুলো নিয়ে গঠিত: "১) একজন গল্পকার বা বর্ণনাকারী; ২) একটি ভৌগলিক, অস্থায়ী এবং সামাজিক প্রেক্ষাপট যেখানে গল্পটি সেট করা হয়েছে; ৩) ঘটনার একটি সেট যা একটি নির্দিষ্ট ক্রমে উদ্ভাসিত হয়; ৪) নির্দিষ্ট গুণাবলী সহ একটি শ্রোতা যার জন্য আখ্যানটি কাস্টমাইজ করা উচিত; এবং ৫) গল্পের একটি বার্তা, উদ্দেশ্য বা নৈতিকতা, যা আখ্যানটি বোঝানোর চেষ্টা করছে "। প্রায়শই গল্পগুলো জ্ঞান পাস করতে, কোনও পয়েন্ট বা নৈতিকতা চিত্রিত করতে, কোনও নির্দিষ্ট ঘটনা ব্যাখ্যা করতে বা মানসিক চিত্র তৈরি করতে চিন্তাভাবনা এবং আবেগ ব্যবহার করতে ব্যবহৃত হয়। গল্পের মূল উপাদানগুলোর মধ্যে প্রায়শই "চরিত্র, বস্তু, অবস্থান, প্লট, থিম, আবেগ এবং ক্রিয়া" অন্তর্ভুক্ত থাকে। নিম্নলিখিত বিভাগগুলো আলোচনা করতে যাচ্ছে কেন গল্প বলা একটি কার্যকর শেখার / শিক্ষণ কৌশল কারণ অন্যান্য শেখার উপকরণের তুলনায় গল্পগুলো বোঝা এবং মনে রাখা সহজ।
=== একটি কার্যকর শেখার / শিক্ষণ কৌশল হিসাবে গল্প বলা ===
শেখার কৌশল হিসাবে গল্প বলা ব্যবহার করা শিক্ষার্থীদের জন্য অনেক সুবিধা দেয়। তথ্যের উপস্থাপনার তুলনায় গল্পের ব্যবহার শিক্ষার্থীর মস্তিষ্কে শারীরবৃত্তীয় প্রভাব ফেলে। সাধারণত, তথ্য উপস্থাপনার সময় মস্তিষ্কের ভাষা এবং বোধগম্যতার ক্ষেত্রগুলো জড়িত থাকে। যাইহোক, জ্ঞান উপস্থাপনের জন্য গল্প বলার ব্যবহারের সাথে সাথে মস্তিষ্কের অতিরিক্ত ক্ষেত্রগুলো সহ পাঠ্য, সংবেদন, গন্ধ, রঙ এবং আকারের দৃষ্টি এবং শব্দ জড়িত হয়ে যায়। এই বিস্তৃত মস্তিষ্কের সক্রিয়তা শিক্ষার্থীদের আরও সমৃদ্ধ স্মৃতি তৈরি করতে দেয় যার মধ্যে রঙ, ত্রিমাত্রিক এবং আবেগ সহ চিত্র অন্তর্ভুক্ত থাকে। এছাড়াও, যখন কোনও ব্যক্তি অন্য ব্যক্তির দ্বারা বলা বাস্তব জীবনের গল্প শোনেন, তখন স্পিকার এবং শ্রোতার মধ্যে ব্যস্ততা বাড়ানোর জন্য মস্তিষ্কে শারীরবৃত্তীয় পরিবর্তন ঘটে।
শেখার কৌশল হিসাবে গল্প বলার ব্যবহারের অতিরিক্ত সুবিধার মধ্যে নিম্নলিখিতগুলো অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। গল্পগুলো যোগাযোগের সবচেয়ে শক্তিশালী রূপ কারণ তারা সামাজিক মূলধন বৃদ্ধি করে এবং বজায় রাখে। মূলধনকে "মানুষের মধ্যে সক্রিয় সংযোগের স্টক: বিশ্বাস, পারস্পরিক বোঝাপড়া এবং ভাগ করা মূল্যবোধ এবং আচরণ যা মানব নেটওয়ার্ক এবং সম্প্রদায়ের সদস্যদের আবদ্ধ করে এবং সমবায় পদক্ষেপকে সম্ভব করে তোলে" হিসাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়। একটি শিক্ষাগত প্রসঙ্গে গল্পের ব্যবহার শিক্ষার্থীদের কৌতূহল এবং কল্পনাকেও সমর্থন করে, শেখার আগ্রহকে উদ্দীপিত করে, আলোচনাকে উত্সাহ দেয়, তথ্যকে মানবিক করে, সিদ্ধান্ত গ্রহণকে উত্সাহ দেয় এবং কোর্সের উপাদান মনে রাখার জন্য একটি কাঠামো সরবরাহ করে। জ্ঞান ভাগ করে নেওয়ার সরঞ্জাম হিসাবে ব্যবহৃত হলে গল্প বলা জ্ঞান স্থানান্তরকেও উত্সাহ দেয়। আমি যখন আমার ইঞ্জিনিয়ারিং অধ্যাপকের গল্প এবং কর্মক্ষেত্রে এক্সেল ব্যবহার সম্পর্কে তাঁর গল্পগুলোর কথা চিন্তা করি, তখন আমি দেখতে পাই যে তাঁর গল্পগুলো কীভাবে আমার জ্ঞান স্থানান্তরকে সহায়তা করেছিল। শেখার কৌশল হিসাবে ব্যবহৃত হলে গল্প বলা কীভাবে শেখার এবং জ্ঞান স্থানান্তরকে বাড়িয়ে তোলে তা বোঝার জন্য, পরবর্তী বিভাগটি গল্প এবং গল্প বলার সাথে সম্পর্কিত জ্ঞানীয় তত্ত্ব নিয়ে আলোচনা করে।
=== গল্প বলার জ্ঞানীয় তত্ত্ব: এনকোডিং এবং স্মরণ (পুনরুদ্ধার) ===
এই বিভাগটি কীভাবে গল্প এবং গল্প বলা এনকোডিং, পুনরুদ্ধার এবং প্রাসঙ্গিকভাবে সমৃদ্ধ শিক্ষার সাথে সম্পর্কিত তা নিয়ে আলোচনা করবে।
==== এনকোডিং ====
ওয়াইয়ার (২০১৪) গল্প বলার শক্তি সম্পর্কে আরও চরম দৃষ্টিভঙ্গি ধারণ করে এবং দাবি করে যে সমস্ত জ্ঞান আসলে গল্প হিসাবে এনকোড করা হয়। (পৃষ্ঠা ২) আখ্যান-ভিত্তিক শিক্ষার গবেষণা শিক্ষার্থীরা কীভাবে গল্পগুলো এনকোড করে সে সম্পর্কে কিছু অন্তর্দৃষ্টি সরবরাহ করে। গ্লেজার এট আল (২০০৯) বলেছেন যে শিক্ষার্থীরা কোনও আখ্যান বা গল্পের বিভিন্ন অংশকে বেছে বেছে এনকোড করতে পারে। এটি শেখার জন্য প্রভাব ফেলেছে যে মূল তথ্যগুলো গল্পের অংশগুলোতে উপস্থাপন করা উচিত যা শিক্ষার্থীরা এনকোড করতে এবং মনে রাখার সম্ভাবনা বেশি। গল্পের এই অংশগুলোর মধ্যে রয়েছে "এক্সপোজিশন দৃশ্য, সমস্যা সমাধানের জন্য নায়কের বিচার এবং ফলাফল"। (পৃষ্ঠা ৪৩৪) প্রদর্শনীর দৃশ্যগুলো গল্পে প্রদত্ত পটভূমির তথ্যকে বোঝায়। নায়ক গল্পের প্রধান বা প্রধান চরিত্র। একটি গল্পের সংবেদনশীল বিষয়বস্তু গল্পের বর্ধিত এনকোডিংয়ের অনুমতি দেওয়ার জন্য অনুমান করা হয় কারণ শিক্ষার্থীরা আরও মনোযোগ দেয়। গল্পের সংবেদনশীল বিষয়বস্তু শিক্ষার্থীদের জাগিয়ে তোলে এবং ইতিবাচক বা নেতিবাচক আবেগের সাথে সম্পর্কিত। সংবেদনশীল সামগ্রীর একটি উদাহরণ কিছু সিনেমা বা ডকুমেন্টারিগুলোতে চিত্রিত করা হয়েছে যা পটভূমিতে সংবেদনশীল সংগীত যুক্ত করার সময় মানুষের মুখগুলোতে জুম করে। গল্পের সংবেদনশীল বিষয়বস্তু ব্যস্ততা, আলোচনা, ব্যক্তিগত প্রাসঙ্গিকতার কারণে সত্যতা, চরিত্রগুলোর সাথে সহানুভূতি, প্রত্যাশা এবং বিস্ময় দ্বারা বাড়ানো হয় যা গল্পগুলোতে অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে। (পৃষ্ঠা ২৩) অ-বিশেষজ্ঞ শ্রোতাদের কাছে বিজ্ঞানের যোগাযোগের জন্য আখ্যানগুলো ব্যবহার করার সময়, ডাহলস্ট্রম (২০১৩) বলেছেন যে কোনও আখ্যান এনকোডিংয়ের জ্ঞানীয় পথটি বৈজ্ঞানিক প্রমাণকে এনকোড করতে ব্যবহৃত জ্ঞানীয় পথ থেকে পৃথক। গল্প বা আখ্যানগুলো শব্দার্থিক প্রক্রিয়াকরণ ব্যবহার করে আরও গভীরভাবে এনকোড করা হয়েছে বলে মনে করা হয় কারণ শিক্ষার্থীরা গল্পগুলোতে উপস্থাপিত তথ্যকে আরও ব্যক্তিগতভাবে প্রাসঙ্গিক বলে মনে করে। (পৃষ্ঠা ২১) গল্পগুলো এপিসোডিক মেমরি সিস্টেম দ্বারা এনকোড করারও তাত্ত্বিক করা যেতে পারে কারণ এপিসোডিক মেমরি মাল্টি-মোডাল এবং দর্শনীয়, শব্দ, গন্ধ ইত্যাদির জন্য কোড। শ্রোতা যদি গল্পের নায়কের সাথে সনাক্ত করে তবে এপিসোডিক মেমরিও গল্পটি এনকোড করতে পারে, তাই শ্রোতা তথ্যটি এমনভাবে কোড করবে যেন তারা সরাসরি ঘটনাগুলো অনুভব করছে।
==== প্রত্যাহার (পুনরুদ্ধার) ====
শিক্ষার্থীর শেখার জন্য গল্প বলা ব্যবহার করা হলে স্মরণও উন্নত করা যেতে পারে। শেখার এবং স্মৃতিশক্তিতে সহায়তা করার জন্য গল্প বলার শক্তিটি প্রথম ১৯৬৯ সালে স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বোয়ার এবং ক্লার্ক নামে দুজন গবেষক দ্বারা প্রদর্শিত হয়েছিল। বোভার এবং ক্লার্ক (১৯৬৯) আবিষ্কার করেন যে শিক্ষার্থীরা যখন মনে রাখার জন্য শব্দের তালিকার চারপাশে একটি অর্থবহ গল্প তৈরি করে, তখন তারা তাদের কথাগুলো তাদের সমবয়সীদের চেয়ে ভাল স্মরণ করে যারা শব্দগুলো শিখতে কোনও গল্প ব্যবহার করে না। গল্প বলার ব্যবহার শিক্ষার্থীদের থিম্যাটিক সংগঠনের মাধ্যমে শেখার বৃদ্ধি এবং শব্দের বিভিন্ন তালিকার মধ্যে হস্তক্ষেপ হ্রাস করার অনুমতি দেয়। তারা আরও দেখতে পেল যে গল্প বলার ব্যবহারের মাধ্যমে তাদের তাত্ক্ষণিক এবং দীর্ঘমেয়াদী স্মরণ ব্যাপকভাবে উন্নত হয়েছিল। শুধুমাত্র তথ্য উপস্থাপনের তুলনায় গল্প বলার ব্যবহারের মাধ্যমে কেন স্মরণ উন্নত করা হয় তার একটি ব্যাখ্যা হলো গল্পগুলো সংবেদনশীল প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করে বলে মনে করা হয়। সেরা গল্পগুলো আবেগকে অন্তর্ভুক্ত করে যাতে শিক্ষার্থীরা কল্পনা করতে পারে এবং গল্পের সাথে নিজেকে যুক্ত করতে পারে। যেহেতু আবেগগুলো নিউরাল অ্যাক্টিভেটর, শিক্ষার্থীরা গল্পটি মনে রাখতে বা স্মরণ করতে পারে কারণ গল্পের সাথে তাদের সংবেদনশীল সমিতি রয়েছে। গল্পের কিছু স্মৃতি অত্যন্ত স্পষ্টভাবে স্মরণ করা হয় যদি গল্পটি অত্যন্ত আশ্চর্যজনক বা তাৎপর্যপূর্ণ হয়। (পৃষ্ঠা ২২) এই ধরণের স্মরণকে ফ্ল্যাশবাল্ব মেমরি বলা হয় যা এই উইকিবইয়ের অধ্যায়ে আলোচনা করা হয়েছে। পৃ. ২২)
গল্পগুলো কেন শিক্ষার্থীদের দ্বারা স্মরণ করা বা পুনরুদ্ধার করা সহজ তার আরেকটি ব্যাখ্যা হলো জ্ঞানটি প্রাথমিকভাবে আরও পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে এনকোড করা হয়। এটি কারণ গল্প বা আখ্যানগুলো শিক্ষার্থীদের যুক্তি সরবরাহ করে যে তারা যা শিখছে তা কেন "বাস্তব জগতে" প্রাসঙ্গিক যা তথ্যটিকে ব্যক্তিগতভাবে প্রাসঙ্গিক করে তোলে। (পৃষ্ঠা ২১) গল্প বা আখ্যান ব্যবহারের মাধ্যমে এই "স্ব-রেফারেন্সিং" শিক্ষকদের দ্বারা সহজতর করা হয় যারা মূল চরিত্র হিসাবে শিক্ষার্থীর সাথে গল্পগুলো ব্যবহার করেন এবং শিক্ষার্থীদের তাদের অভিজ্ঞতাগুলো কীভাবে গল্পের সাথে সম্পর্কিত তা জিজ্ঞাসা করে গল্পের চরিত্রগুলোর সাথে তাদের পার্থক্যগুলোর তুলনা করার সুযোগ দেয়। (পৃষ্ঠা ২২) এই বিভাগের শুরুতে অনুশীলনটি আপনাকে একটি গল্প মনে রাখতে বলেছিল। সম্ভবত গল্পের পাশাপাশি, আপনি গল্পটি যে সামগ্রীর জন্য তৈরি করা হয়েছিল তার বিশদটি স্মরণ করতে পারেন। ঠিক যেমন আমার মনে আছে যে আমার ইঞ্জিনিয়ারিং প্রফেসর তার কর্মক্ষেত্র সম্পর্কে একটি গল্প দিয়েছিলেন, এবং তারপরে আমি স্মরণ করেছিলাম যে এই পাঠটি আমাদের উপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছিল যে একটি ইঞ্জিনিয়ারিং সংস্থায় কাজ করার জন্য এক্সেল শেখার একটি বড় প্রয়োজন রয়েছে। এই গল্পটি ব্যক্তিগতভাবে আমার কাছে প্রাসঙ্গিক ছিল কারণ আমি একটি ইঞ্জিনিয়ারিং সংস্থায় কাজ করার জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জন করতে চেয়েছিলাম।
==== প্রাসঙ্গিকভাবে সমৃদ্ধ শিক্ষা ====
প্রাসঙ্গিকভাবে সমৃদ্ধ শেখার পদ্ধতি হিসাবে আখ্যান বা গল্পগুলো বোঝা গল্প বলার জন্য জ্ঞানের এনকোডিং এবং পুনরুদ্ধার ব্যাখ্যা করতে সহায়তা করে। গল্প বা আখ্যানগুলো প্রাসঙ্গিকভাবে সমৃদ্ধ শিক্ষার জন্য একটি পদ্ধতি হিসাবে বিবেচিত হয় যার মধ্যে "সত্যতা, ক্রিয়াকলাপ, সমস্যা সমাধান, সহযোগিতা, আলোচনা, তুলনা এবং বৈসাদৃশ্য" এর কিছু সংমিশ্রণ জড়িত (পৃষ্ঠা ১২ প্রাসঙ্গিকভাবে সমৃদ্ধ শিক্ষা এছাড়াও "শিক্ষার্থীদের মেমরিতে নতুন জ্ঞানকে আরও ভালভাবে এনকোড করতে সহায়তা করতে পারে এবং সেইসাথে কীভাবে এই পরিস্থিতিতে সেই জ্ঞানটি আরও ভালভাবে পুনরুদ্ধার করা যায়" (পৃষ্ঠা ১২)। শেখার জন্য আখ্যানের ব্যবহার এনকোডিং এবং পুনরুদ্ধারকে সমর্থন করে কারণ আখ্যানগুলো শিক্ষার্থীদের জ্ঞান সংগঠিত করতে সহায়তা করার জন্য একটি কাঠামো সরবরাহ করে। গল্পগুলো শিক্ষার্থীদের জন্য সামগ্রী সংগঠিত করতে সহায়তা করে কারণ তাদের "অনুমানযোগ্য প্লট, চরিত্র, উপাদান এবং রেজোলিউশন" (পৃষ্ঠা ২১)। গল্পগুলো শিক্ষার্থীদের জন্য যে খাঁটি প্রসঙ্গটি প্রচার করে তা তাদের "কেবল বিশ্বের সাথে মিথস্ক্রিয়া থেকে শিক্ষার্থীদের যে মানসিক মডেলগুলো রয়েছে তার সাথে মেলে" (পৃষ্ঠা ২১) এটি শিক্ষার্থীকে গল্প হিসাবে উপস্থাপিত তথ্যের স্মরণে সহায়তা করে যা তাদের শেখার উন্নতি করে (পৃষ্ঠা ২১)।
=== শিক্ষণ এবং শেখার জন্য গল্প বলার উদাহরণ ===
=== শিক্ষাদান ও শেখার ক্ষেত্রে গল্প বলার উদাহরণ ===
জ্ঞান ধারণ ও স্মরণ করার প্রক্রিয়ায় গল্প বা বর্ণনার ব্যবহার শিক্ষার্থীদের শেখার পরিমাণ বাড়াতে সাহায্য করে, তাই শিক্ষকদের জন্য গল্প বলার কৌশল কীভাবে প্রয়োগ করা যায় তা বোঝা জরুরি।<ref name="Andrews20102" /><ref name="Glaser20092" /><ref name="Green20042" /> চকবোর্ড, ওভারহেড প্রজেক্টর বা পাওয়ারপয়েন্ট উপস্থাপনার মতো প্রযুক্তি ব্যবহারের আগে শিক্ষকরা "গল্পের মাধ্যমে তাদের জ্ঞান ভাগাভাগি করতেন" <ref name="Green20042" /> (পৃ. ১)। শিক্ষকরা ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা, চলমান বা ঐতিহাসিক ঘটনা, কল্পকাহিনি, পাঠ্যপুস্তক ইত্যাদি থেকে গল্প ব্যবহার করতে পারেন।<ref name="Green20042" /> কেস স্টাডি, ভূমিকাভিনয় বা এমনকি শিক্ষার্থীদের নিজেদের গল্প বলতেও উৎসাহিত করে গল্প বলা শ্রেণিকক্ষে আনা যেতে পারে।<ref name="Green20042" /> আজও শিক্ষকরা এই ধরনের পদ্ধতি ব্যবহার করেন, তবে বর্তমানে গল্প বলার আরও আধুনিক পদ্ধতি রয়েছে যা শিক্ষাদান ও শেখার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা যায়। চলচ্চিত্র ও ওয়েবসাইট ছাড়াও, <ref name="Green20042" /> শেখার জন্য ব্যবহৃত গেম বা ডিজিটাল গেমগুলোতেও গল্প বলার উপাদান থাকে। গল্পের আবেগ শিক্ষার্থীদের তথ্য ধারণ ও পুনরুদ্ধারে সাহায্য করে বলে এই আবেগের উপাদানগুলো গেমেও ব্যবহৃত হয়। প্রেন্সকি (২০০১) এর মতে, গেমের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো গেমে উপস্থাপনা ও গল্প থাকে যা আবেগ সৃষ্টি করে। গল্প বলার আরেকটি আধুনিক পদ্ধতি হলো ডিজিটাল স্টোরিটেলিং <ref name="Prensky20012">Prensky, M. (2001). Digital game¬-based learning. New York: McGraw Hill</ref>। রুল (২০১০) ডিজিটাল স্টোরিটেলিং-এর জন্য নিম্নলিখিত সংজ্ঞা দিয়েছেন<ref name="Rule20102">Rule, L. (2010). DIGITAL STORYTELLING: Never Has Storytelling Been So Easy or So Powerful. Knowledge Quest, 38(4), 56-57.</ref>: "ডিজিটাল স্টোরিটেলিং হলো প্রাচীন গল্প বলার শিল্পের আধুনিক রূপ। ডিজিটাল গল্পগুলো তাদের শক্তি পায় ছবি, সংগীত, বর্ণনা ও কণ্ঠ একত্রে মিশিয়ে চরিত্র, পরিস্থিতি, অভিজ্ঞতা ও অন্তর্দৃষ্টি গভীর ও প্রাণবন্তভাবে উপস্থাপন করে" (পৃ. ১)।
স্টোরিসেন্টারের প্রতিষ্ঠাতার মতে, ডিজিটাল স্টোরিটেলিং হলো "ব্যক্তিগত গল্প সংগ্রহ করে ছোট ছোট মিডিয়া ক্লিপে রূপান্তর করার প্রক্রিয়া" <ref name="Lambert20102">Lambert, J. (2010). Digital Storytelling Cookbook: January 2010. Digital Diner Press</ref>(পৃ. ১)। ডিজিটাল গল্পগুলোকে মাল্টিমিডিয়ার একটি রূপ হিসেবে বিবেচনা করা হয় কারণ এতে একাধিক মাধ্যম ব্যবহৃত হয়।<ref name="Rule20102" /> ডিজিটাল গল্প সাধারণত "আপনি যা শুনছেন এবং যা দেখছেন" এই দুই উপাদানে গঠিত এবং এই দুটি উপাদানকে একত্রিত করে আরেকটি তৃতীয় মাধ্যম তৈরি হয়।<ref name="Rule20102" /> দৃশ্যের মধ্যে ভিডিও ও স্থিরচিত্র এবং শব্দে কথ্য বর্ণনা, শব্দ প্রভাব ও সঙ্গীত অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।<ref name="Rule20102" /> শব্দ ও দৃশ্যের সৃজনশীল সংমিশ্রণেই ডিজিটাল গল্পের সৌন্দর্য ফুটে ওঠে।
রুল (২০১০) বলেন<ref name="Rule20102" />:
"চরিত্র, পরিস্থিতি ও অভিজ্ঞতাকে গভীর ও প্রাণবন্ত করে তোলা যায় এই সৃজনশীল সিদ্ধান্তগুলোর মাধ্যমে—যে ছবিগুলো একে অপরের পাশে বসানো হয়েছে, কোন ট্রানজিশন ব্যবহার করা হয়েছে এবং কতক্ষণ ধরে, এবং কোন অডিও ট্র্যাকগুলো একে অপরের সঙ্গে ওভারল্যাপ করেছে ফলে কণ্ঠ ও শব্দ মিশে গেছে" (পৃ. ১)।
ডিজিটাল গল্প সাধারণত প্রথম পুরুষ (I) ব্যবহার করে বলা হয়। "সে, তারা, এটি" ইত্যাদি তৃতীয় পুরুষ সাধারণত ব্যবহৃত হয় না <ref name="Rule20102" />। এতে শিক্ষার্থী গল্পের মূল চরিত্র হিসেবে নিজেকে কল্পনা করতে পারে।
ল্যামবার্ট (২০১০) ডিজিটাল স্টোরি তৈরি করার জন্য নিম্নলিখিত ধাপগুলো নির্ধারণ করেছেন<ref name="Lambert20102" />:
# আপনার অন্তর্দৃষ্টি আত্মস্থ করা
#:* গল্পকারদের তাদের গল্প আসলে কী নিয়ে তা খুঁজে বের ও পরিষ্কার করতে হবে (পৃ. ১৪)
#:* গল্পটির অর্থও পরিষ্কারভাবে নির্ধারণ করতে হবে
# আপনার আবেগ আত্মস্থ করা
#:* গল্পকারদের তাদের গল্পের আবেগীয় অনুরণন সম্পর্কে সচেতন হতে হবে (পৃ. ১৭)
#:* গল্পের আবেগ শনাক্ত করে গল্পে কোন আবেগ থাকবে ও কীভাবে তা উপস্থাপন করা হবে তা নির্ধারণ করতে হবে (পৃ. ১৭)
# মুহূর্তটি খুঁজে বের করা
#:* সাধারণত ব্যক্তির জীবনের পরিবর্তনের মুহূর্ত হিসেবে বিবেচিত
# আপনার গল্প দেখা
#:* গল্পে ব্যবহৃত ছবির মতো ভিজ্যুয়াল ভাবা, বিশেষ প্রভাব যুক্ত করা
# আপনার গল্প শোনা
#:* গল্পকারের রেকর্ডকৃত বর্ণনা, কণ্ঠস্বরের ধরণ, শব্দ স্তর, সঙ্গীত বা পরিবেশগত শব্দ
# আপনার গল্প সাজানো
#:* স্ক্রিপ্ট ও স্টোরিবোর্ড রচনা করা
# আপনার গল্প ভাগ করে নেওয়া
#:* শ্রোতা
সরলভাবে বললে, ডিজিটাল স্টোরিটেলিং একটি বর্ণনাভিত্তিক পদ্ধতি যা সহজ মিডিয়া প্রযুক্তি ব্যবহার করে সংক্ষিপ্ত চলচ্চিত্র তৈরি করে। ডিজিটাল স্টোরিটেলিং বনাম মুখে বলা বা লেখিত গল্প বলার মাধ্যমে তথ্য ধারণ ও পুনরুদ্ধার নিয়ে গবেষণা খুব বেশি হয়নি। কাটুসচাকোভা (২০১৫) দেখিয়েছেন যে ডিজিটাল স্টোরিটেলিং প্রচলিত গল্প বলার মতোই জ্ঞান হস্তান্তরের সুবিধা দেয়।<ref name="Katuscáková20152" /> তিনটি ভিন্ন ভিন্ন গ্রুপের স্নাতক শিক্ষার্থীদের একটি জ্ঞান ব্যবস্থাপনা বিষয় শেখানো হয়েছিল—একটি গ্রুপকে পাওয়ারপয়েন্ট উপস্থাপনা, একটি গ্রুপকে মৌখিক গল্প এবং অপর গ্রুপকে একই গল্প ডিজিটাল স্টোরির মাধ্যমে।<ref name="Katuscáková20152" /> প্রাক-পরীক্ষা ও পরবর্তী পরীক্ষার ফল অনুযায়ী, মৌখিক অথবা ডিজিটাল গল্প ব্যবহার করে যাদের শেখানো হয়েছিল, তাদের জ্ঞান হস্তান্তরের হার ছিল পাওয়ারপয়েন্ট গ্রুপের সমান।<ref name="Katuscáková20152" /> জ্ঞান হস্তান্তর বলতে বোঝানো হয়েছে শিক্ষার্থীদের ডিজিটাল গল্পে থাকা তথ্য মনে রাখতে পারার ক্ষমতা। ডিজিটাল স্টোরি শিক্ষার্থীদের নিজেদেরকে গল্পের মধ্যে রাখার সুযোগও দেয় এবং এতে প্রায়শই আবেগীয় উপাদান থাকে। যেহেতু ডিজিটাল গল্প মাল্টিমিডিয়ার একটি রূপ, তাই শেখার উপকরণ ডিজাইনের সময় মাল্টিমিডিয়া নীতিগুলো অনুসরণ করা উচিত যাতে অতিরিক্ত মানসিক চাপ কমে। এই নীতিগুলোর মধ্যে রয়েছে রিডান্ডেন্সি (একই সময়ে বর্ণনাযুক্ত অ্যানিমেশনের সঙ্গে পর্দায় লেখা না দেখানো) এবং টেম্পোরাল কনটিগুইটি (বর্ণনা ও অ্যানিমেশন একই সঙ্গে উপস্থাপন করা)।<ref name="Mayer20082">Mayer, R. E. (2008). Applying the science of learning: evidence-based principles for the design of multimedia instruction. American Psychologist,63(8), 760.</ref>
শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা প্রাসঙ্গিকতার ভিত্তিতে বিভিন্নভাবে ডিজিটাল গল্প ব্যবহার করতে পারে। আগে থেকে তৈরি ডিজিটাল গল্প ব্যবহার করে বিষয়বস্তু শেখানো বর্তমানে গণিত, বিজ্ঞান, শিল্পকলা, প্রযুক্তি ও চিকিৎসাশাস্ত্রসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহার হচ্ছে।<ref name="Robin20082">Robin, B. R. (2008). Digital storytelling: A powerful technology tool for the 21st century classroom. Theory into practice, 47(3), 220-228.</ref> গণিত ও জ্যামিতি শ্রেণিতে শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের জন্য ছোট ডিজিটাল গল্প বাজিয়ে তা থেকে শেখার সুযোগ করে দেন।<ref name="Petrucco20132">Petrucco, C., De Rossi, M., & Personeni, F. (2013). Digital Storytelling as a new meaningful teaching/learning strategy for mathematics and geometry.Learning & Teaching with Media & Technology, 503.</ref> এই শ্রেণিতে ব্যবহৃত ডিজিটাল গল্পগুলো ভগ্নাংশ শেখানোর পাঠে অন্তর্ভুক্ত ছিল <ref name="Petrucco20132" />। যদিও ডিজিটাল গল্প ব্যবহারের ফলে গণিত পারফরম্যান্সে উল্লেখযোগ্য উন্নতি পাওয়া যায়নি, তবে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভগ্নাংশ শেখার আগ্রহ বৃদ্ধি পেয়েছে।<ref name="Petrucco20132" /> এই গল্পগুলোর বিষয়বস্তু কী এবং কীভাবে তা শেখার লক্ষ্যের সঙ্গে সম্পর্কিত—তা ভেবে দেখা দরকার। আরেকটি উদাহরণ হলো—রোগীদের তৈরি ডিজিটাল গল্প নার্সিং শিক্ষার্থীরা দেখে রোগীদের প্রতি সহানুভূতি গড়ে তুলতে পারে।<ref name="Stenhouse20132">Stenhouse, R., Tait, J., Hardy, P., & Sumner, T. (2013). Dangling conversations: reflections on the process of creating digital stories during a workshop with people with early‐stage dementia. Journal of psychiatric and mental health nursing, 20(2), 134-141.</ref> শিক্ষার্থীরা নিজেরাও ডিজিটাল গল্প তৈরি করতে পারে, হয় নিজের জীবনের গল্প বলতে অথবা কোনো ঐতিহাসিক ঘটনা ব্যাখ্যা করতে।<ref name="Robin20082" /> তারা Windows Movie Maker, iMovie অথবা WeVideo-এর মতো ভিডিও সম্পাদনার সফটওয়্যার ব্যবহার করে নিজের ডিজিটাল গল্প তৈরি করতে পারে।
= শব্দকোষ =
; কনফাবুলেশন
: অনিচ্ছাকৃত মনগড়া ঘটনা নিজের চেতনায় বাস্তব স্মৃতি হিসেবে ফুটে ওঠে।
; বিতরণ অনুশীলন
: একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অধ্যয়ন সেশন যা সময়ের সাথে নিয়মিত সঞ্চালিত হয় (উদাঃ, বেশ কয়েক সপ্তাহ বা বছর ধরে একটি দক্ষতা উন্নত করার জন্য কাজ করা)।
; বিস্তৃত রিহার্সাল
: অন্যান্য তথ্যের সাথে শিখতে হবে এমন তথ্য সম্পর্কিত।
; এনকোডিং
: শিক্ষার্থীর দীর্ঘমেয়াদী মেমরিতে সঞ্চয়ের জন্য স্বল্পমেয়াদী মেমরি থেকে তথ্য স্থানান্তর করার প্রক্রিয়া।
; এপিসোডিক মেমোরি
: ব্যক্তিগতভাবে তারিখযুক্ত, আত্মজীবনীমূলক অভিজ্ঞতার সঞ্চয় এবং পুনরুদ্ধার।
; বহিরাগত প্রেরণা
: পুরষ্কার এবং পুরষ্কারের মতো বাইরের বিষয়গুলোর উপর ভিত্তি করে একটি কাজ সম্পূর্ণ করার জন্য একটি ড্রাইভ।
; আলঝেইমার রোগ
: মস্তিষ্কের প্রগতিশীল অবক্ষয় দ্বারা চিহ্নিত এক ধরণের ডিমেনশিয়া।
; অন্তর্নিহিত স্মৃতি
: স্মৃতি ধরে রাখার একটি স্বয়ংক্রিয় এবং অচেতন উপায়।
; অন্তর্নিহিত প্রেরণা
: ব্যক্তিগত আগ্রহ বা বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে কোনও কাজ শেষ করার জন্য একটি ড্রাইভ।
; শেখার কৌশল
: কৌশলগুলো, যা শিক্ষার্থী আরও দক্ষতার সাথে মনে রাখার জন্য উপাদানগুলোতে প্রয়োগ করতে পারে।
; রিহার্সাল রক্ষণাবেক্ষণ
: স্বল্পমেয়াদী মেমরিতে এটি সক্রিয় রাখার জন্য তথ্য বারবার রিহার্সাল দেওয়া হয়।
; গণ অনুশীলন
: অনুশীলন করুন যেখানে শিক্ষার্থীরা কোনও কাজে কাজ করার এককালীন নিবিড় প্রচেষ্টা করে (যেমন, রাতারাতি পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত করা)।
; স্মৃতিবিদ্যা
: কৌশলগুলো অধ্যয়ন করুন, যা শিক্ষার্থীদের তথ্য ধরে রাখা এবং পুনরুদ্ধারে সহায়তা করে।
; প্রেরণা
: আচরণ এবং চিন্তাভাবনা যা ব্যক্তিদের সম্পাদন করতে চালিত করে।
; পূর্ব জ্ঞান
: একটি নির্দিষ্ট বিষয়কে ঘিরে একজন শিক্ষার্থীর প্রাক-বিদ্যমান জ্ঞান রয়েছে।
; পুনর্গঠনমূলক স্মৃতি
: যেভাবে প্রত্যাহার প্রক্রিয়াটি দীর্ঘমেয়াদী মেমরিতে থাকা সীমিত মূল বিবরণের ভিত্তিতে একজনের ভাণ্ডারে সাধারণ এবং ডোমেন নির্দিষ্ট জ্ঞানের ভিত্তিতে তৈরি করে তথ্য পুনরায় একত্রিত করে।
; পুনরুদ্ধার
: মস্তিষ্কে এনকোড হয়ে গেলে তথ্য পুনরায় অ্যাক্সেস করার প্রক্রিয়া''কীওয়ার্ড পদ্ধতি:'''
অ্যাসোসিয়েটিভ উপাদান রয়েছে এমন উপকরণগুলো মনে রাখার জন্য একটি দ্বি-পর্যায়ের পদ্ধতি।
; স্ক্যাফোল্ডিং
: লেভ ভাইগটস্কি প্রথম একটি প্রক্রিয়া এগিয়ে রেখেছিলেন, যেখানে শিক্ষার্থীদের তাদের শেখার লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য তাদের নিজস্ব গতিতে ধাপে ধাপে সমর্থন করা হয়।
; স্কিম
: মানসিক কাঠামো যা জ্ঞানকে সংগঠিত করতে সহায়তা করে।
; সিলেক্টিভ মেমরি
: নেতিবাচক স্মৃতিগুলোর সক্রিয় দমন, বা ইতিবাচক স্মৃতিগুলোতে সক্রিয় ফোকাস।
; স্ব-নিয়ন্ত্রিত শিক্ষা
: শেখা যা শিক্ষার্থীকে তাদের নিজস্ব গতি নিয়ন্ত্রণ করার স্বাধীনতা দেয়।
; শব্দার্থিক স্মৃতি
: সাধারণ ধারণা এবং নীতি এবং তাদের মধ্যে সমিতির স্মৃতি।
; পরীক্ষার প্রভাব
: পরীক্ষা নেওয়া তথ্য শেখার এবং ধরে রাখার উপর যে প্রভাব ফেলে।
; প্রক্সিমাল ডেভেলপমেন্টের অঞ্চল
: যে সময়ে শিক্ষার্থীরা উপাদান শিখতে সবচেয়ে বেশি সম্ভাবনা এবং সক্ষম হয় এবং তারা এই সময় থেকে আরও এগিয়ে যায়, এটি শেখা আরও কঠিন হয়ে উঠবে।
= প্রস্তাবিত পাঠ =
<u>মাল্টিমিডিয়া শিক্ষায় আত্ম-ব্যাখ্যার নীতি।</u>
Wylie, R., & Chi, M. H. (2014)। মাল্টিমিডিয়া শিক্ষায় আত্ম-ব্যাখ্যার নীতি। In R. E. Mayer, R. E. Mayer (Eds.), The Cambridge handbook of multimedia learning (2nd ed.) (pp. 413-432)। নিউ ইয়র্ক, NY, US: ক্যামব্রিজ ইউনিভার্সিটি প্রেস। doi:10.1017/CBO9781139547369.021
Siegler
<u>শিক্ষক-শিক্ষার্থী পারস্পরিক যোগাযোগ, শিক্ষার্থীদের সামাজিক দক্ষতা এবং শ্রেণিকক্ষের প্রেক্ষাপটে শিক্ষার্থীদের আবেগগত ও আচরণগত সমস্যার প্রভাব।</u>
Poulou, M. (2014)। শিক্ষক-শিক্ষার্থী পারস্পরিক যোগাযোগ, শিক্ষার্থীদের সামাজিক দক্ষতা এবং শ্রেণিকক্ষের প্রেক্ষাপটে শিক্ষার্থীদের আবেগগত ও আচরণগত সমস্যার প্রভাব। Br Educ Res J ব্রিটিশ এডুকেশনাল রিসার্চ জার্নাল, খণ্ড 40(6), 986-1004। http://dx.doi.org/10.1002/berj.3131
Mayer, R. E. (1980)। প্রযুক্তিগত পাঠ্যবস্তুর অর্থবোধকতা বৃদ্ধির জন্য ব্যাখ্যামূলক কৌশল: শিক্ষণ কৌশল অনুমানের একটি পরীক্ষামূলক মূল্যায়ন। Journal Of Educational Psychology, 72(6), 770-784। doi:10.1037/0022-0663.72.6.770
<u>K-W-L: একটি শিক্ষণ মডেল যা ব্যাখ্যামূলক পাঠ্য পাঠে সক্রিয় পাঠাভ্যাস গড়ে তোলে।</u>
Ogle, D. (1986)। K-W-L: একটি শিক্ষণ মডেল যা ব্যাখ্যামূলক পাঠ্য পাঠে সক্রিয় পাঠাভ্যাস গড়ে তোলে। Reading Teacher, 39(6), 564-570। http://dx.doi.org/10.1598/RT.39.6.11
<u>তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণির শিশুদের জন্য স্বেচ্ছাসেবী গ্রীষ্মকালীন পাঠাভ্যাসে সহায়তা: একটি পরীক্ষামূলক গবেষণা।</u>
Kim, J. S., & White, T. G. (2008)। তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণির শিশুদের জন্য স্বেচ্ছাসেবী গ্রীষ্মকালীন পাঠাভ্যাসে সহায়তা: একটি পরীক্ষামূলক গবেষণা। Scientific Studies of Reading, Scientific Studies of Reading, 12(1), 1-23।
<u>স্মৃতি ও স্মৃতিচারণ</u>
Bartlett, R.H. (1932)। ''Remembering: A Study in Experimental and Social Psychology.'' ক্যামব্রিজ ইউনিভার্সিটি প্রেস।
Irish, M., Lawlor, B. A., Coen, R. F., & O'Mara, S. M. (2011)। স্মৃতিভ্রষ্ট হালকা জ্ঞানীয় ব্যাঘাতে দৈনন্দিন পর্বিক স্মৃতি: একটি প্রাথমিক অনুসন্ধান। BMC Neuroscience, 12 doi:10.1186/1471-2202-12-80
Lanciano, T., Curci, A., Mastandrea, S., & Sartori, G. (2013)। স্বয়ংক্রিয় মানসিক সংযোগ কি ফ্ল্যাশবাল্ব স্মৃতি শনাক্ত করতে পারে? Memory, 21(4), 482-493।
== তথ্যসূত্র ==
{{সূত্র তালিকা}}
9suy1pe2hdmb8tkl7j029ygheaa9d68
নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/সিস্টেম বিলম্ব
0
26227
84771
81710
2025-06-18T05:14:13Z
RDasgupta2020
8748
/* বিলম্ব */
84771
wikitext
text/x-wiki
{{Control Systems/Page|নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/স্যাম্পলড ডেটা সিস্টেম| নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/পোল ও জিরো}}
==বিলম্ব==
বিশ্লেষণের সুবিধার্থে কোন একট যান্ত্রিক সিস্টেম বা ব্যাবস্থাকে এমনভাবে নির্মাণ করা যেতে পারে যাতে তার মধ্যে একটি সহজাত '''বিলম্ব''' -এর প্রবৃত্তি বা ''ডিলে'' বিদ্যমান থাকে। কোন সিস্টেমে বিলম্ব বা ডিলে বিদ্যমান থাকলে তা সিস্টেমে নিবেশিত সংকেত বা ইনপুট সিগন্যালের একটি সময়গত পরিবর্তন ঘটায়, কিন্তু এর ফলে সংকেতের গুণগত বৈশিষ্ট্যে কোনও প্রভাব পরেনা। একটি '''আদর্শ বিলম্ব''' হল সিস্টেমের এমন একটি বৈশিষ্ট্য যা সিগন্যাল বা সংকেতের গঠনগত বৈশিষ্ট্যের একেবারেই কোনো পরিবর্তন না এনে শুধুমাত্র নির্দিষ্ট সময়কাল পর্যন্ত সিগন্যাল বা সংকেতকে বিলম্বিত করে। বিলম্বের কিছু নির্দিষ্ট প্রকার, যেমন প্রক্রিয়াকরণ বিলম্ব (প্রসেসিং ডিলে) বা সংকেত প্রেরণ বিলম্ব (ট্রান্সমিশন ডিলে, ইনপুট থেকে আউটপুটে সংকেত বা সিগন্যাল প্রেরনে যে বিলম্ব হয়) -এই সমস্ত কিছু অনিচ্ছাকৃত কারনবশত হয়। অন্যদিকে, কিছু বিলম্ব যেমন সিঙ্ক্রোনাইজেশন বিলম্ব -এগুলি একটি সিস্টেমের অবিচ্ছেদ্য অংশ। এই অধ্যায়ে আমরা আলোচনা করব সিস্টেমে কীভাবে বিলম্ব বা ডিলে ব্যবহৃত হয় এবং ল্যাপ্লেস গাণিতিক ক্ষেত্রে (ডোমেইনে) তা কীভাবে উপস্থাপন করা হয়। একবার বিলম্বকে ল্যাপ্লেস ডোমেইনে উপস্থাপন করা হলে, নির্দিষ্ট চলরাশির পরিবর্তনের মাধ্যমে অন্যান্য গাণিতিক রূপয়ান্তরন প্রক্রিয়ার সাহায্যে বিলম্বকে সহজেই ব্যাখা করা যায়।
===আদর্শ বিলম্ব===
'''আদর্শ বিলম্ব''' কোন ব্যাবস্থা বা সিস্টেমের ইনপুট সিগন্যাল বা নিবেশিত সংকেতকে, সময়ের সাপেক্ষে তরান্বিত করে। আদর্শ বিলম্বের ফলে সিস্টেমের আউটপুট বা বহিঃসংকেত একটি সীমিত, পূর্বনির্ধারিত সময়ের জন্য বিলম্বিত হয়।
[[Image:Ideal Delay.svg|400px|center]]
==সময় পরিবর্তন==
ধরা যাক আমাদের কাছে একটি ফাংশন আছে, এবার আমরা সেই ফাংশনের সময়কালে কিছুটা পরিবর্তিত করা হল এবং সেই পরিবর্তনের মান একটি নির্দিষ্ট ধ্রুবক সময়কাল ''T'' -এর সমান। এবার আমরা এই সময়য় সাপেক্ষে বিলম্বিত ফাংশনকে আমরা গাণিতিকভাবে ''x(t - T)'' -এর মাধ্যমে প্রকাশ করতে পারি। তাহলে এবার ''x(t - T)'' -এর ল্যাপ্লেস রূপান্তরটি হবে:
:<math>\mathcal{L}\{x(t - T)\} \Leftrightarrow e^{-sT}X(s)</math>
- আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, সময় পরিবর্তনের মান (''T'') ল্যাপ্লেস ক্ষেত্রে পরিবর্তিত জটিল রাশির সূচকে পরিনত হয়েছে।
===Z-গাণিতিক ক্ষেত্রে (ডোমেইন) পরিবর্তন===
যেহেতু আমরা '''Z''' গাণিতিক রূপান্তরন এবং স্টার গাণিতিক রূপান্তরনের মধ্যে নিম্নলিখিত সাধারণ সম্পর্কটি জানি:
:<math>z \Leftrightarrow e^{sT}</math>:
এর মাধ্যমে আমরা দেখাতে পারি, যে বিচ্ছিন্ন-সময় (ডিসক্রিট-টাইম) সাপেক্ষে একটি সিস্টেমের সময় পরিবর্তনকে '''Z''' (জেড) গাণিতিক রূপান্তরনের মাধ্যমে কিভাবে প্রকাশ করা যায়:
:<math>x((n-n_s)\cdot T)\equiv x[n - n_s] \Leftrightarrow z^{-n_s}X(z)</math>
==বিলম্ব এবং স্থিতিশীলতা==
উপরের সমীকরন থেকে আমরা দেখছি যে কোন সিস্টেমের সময় এককের পরিবর্তন ঘটিয়ে বিলম্ব ঘটালে সেই পরিবর্তিত সময়ের মান সিস্টেমের ল্যাপ্লেস রূপান্তর চিহ্নিতকারী জটিল রাশির সূচকীয় পরিবর্তন ঘটায়। এর মাধ্যমে ধারনা করা যেতে পারে যে, সময়ের পরিবর্তন কোন সিস্টেমের স্থিতিশীলতার উপর প্রভাব ফেলতে পারে এবং তার ফলে সিস্টেম অস্থির হইয়ে উঠতে পারে। এই সমস্যার সমাধানের জন্য একটি নতুন পরামিতির ধারনা বিস্তারলাভ করেছে যাকে মূলত ''সময় সীমানা'' বা ''টাইম মার্জিন'' হিসাবে সম্বোধন করা হয়। এই পরামিতির মাধ্যমে আমরা পরিমাপ করে পারি যে, কোন সিস্টেমের কতখানি সময় পরিবর্তন করা উপযুক্ত, অর্থাৎ সিস্টেমের ইনপুট ফাংশন বা নিবেশিত ফাংশনে ঠিক কতখানি সময় পরিবর্তন করলে সিস্টেমে অস্থির হবেনা। যদি কোন সিস্টেমে সময় পরিবর্তন করার পরও সিস্টেমটি তার স্থিতাবস্থা হারায়না তাহলে আমরা বলে পারি যে সেই সিস্টেমের টাইম মার্জিন বা সময় সীমানার মান অসীম।
==বিলম্ব সীমানা(ডিলে মার্জিন)==
[[w:সাইন তরঙ্গ|সাইন তরঙ্গ সিগন্যাল]] -এর ক্ষেত্রে ''সময় পরিবর্তন'' বা ''টাইম সিফট'' সম্পর্কে আলোচনা করা অপ্রয়োজনীয়, কারন এই ধরনের সংকেতে সময়ের থেকে তরঙ্গের ''ফেজ্'' বা ''দশা'' -এর গুরুত্ব বেশি। তাই এক্ষেত্রে আমরা সিগন্যাল বা সংকেতের দশা পরিবর্তনের উপর মনোনিবেশ করব। সময় পরিবর্তনের জন্য যেমন আছে ''টাইম মার্জিন'' বা ''সময় সীমানা'' সেরকমই দশা পরিবর্তনের ক্ষেত্রে আছে ''ফেজ্ মার্জিন'' বা ''দশা সীমানা''। সিস্টেমের ইনপুট সিগন্যাল বা নিবেশিত সংকেতে যে পরিমান দশা পরিবর্তন ঘটালে সিস্টেম অস্থির হবেনা সেই মানই হল ''দশা সীমানা'' বা ''ফেজ্ মার্জিন''।
''দশা সীমানা'' বা''ফেজ্ মার্জিন'' -কে গ্রীক অক্ষর φ (ফাই) -এর মাধ্যমে চিহ্নিত করা যায়। ''দশা সীমানা'' -কে গাণিতিক ভাষায় একটি দ্বিতীয় ক্রমের সিস্টেম বিশ্লেষণকারী সমীকরনের মাধ্যমে প্রদর্শন করা যায়,
{{eqn|বিলম্ব সীমানা}}
:<math>\phi_m = \tan^{-1} \left[ \frac{2 \zeta}{(\sqrt{4 \zeta^4 + 1} - 2\zeta^2)^{1/2}}\right]</math>
''দশা সীমানা'' -এর আনুমানিক মান নিম্নলিখিত সম্পর্ক দ্বারা নির্ধারিত করা হয়,
{{eqn|বিলম্ব সীমানা (আনুমানিক)}}
:<math>\phi_m \approx 100\zeta</math>
-এখানে গ্রীক অক্ষর জীটা (ζ) -এর মাধ্যমে সিস্টেমের '''অবমন্দন অনুপাত''' বা '''ড্যাম্পিং রেশিও''' -কে নির্দেশ করা হয়। আমরা পরবর্তী অধ্যায়ে এই রাশি সম্পর্কে আরও বিস্তারিত আলোচনা করব।
== গাণিতিক রূপান্তরনের ক্ষেত্রে বিলম্বের প্রভাব ==
যেখানে সময় পরিবর্তনের জন্য সিস্টেম প্রভাবিত হয় অথবা যেখানে সিস্টেমে প্রক্রিয়াকরন বিলম্ব বর্তমান থাকে, সাধারণ '''জেড'''-রূপান্তরন সেইসকল সিস্টেমের ক্ষেত্রে প্রভাবশালী নয়। তবে এইসকল ক্ষেত্রে জেড রূপান্তরনকে কার্যকরী করে তুলতে সামান্য পদ্ধতিগত পরিবর্তন করা হয়। জেড রূপান্তরনের এই বিশেষ পরিবর্তিত সংস্করণটিকে অ্যাডভান্সড জেড-ট্রান্সফর্ম বা উন্নত জেড-রূপান্তরন বলা হয়।
===বিলম্বিত তারকা রূপান্তর (ডিলেড স্টার ট্রান্সফর্ম)===
আদর্শ বিলম্ব বা আইডিয়াল ডিলের ধারনা প্রদর্শনের জন্য, আমরা এখানে দেখাবো যে কিভাবে স্টার ট্রান্সফর্ম বা তারকা রূপান্তর কোন সিস্টেমের ইনপুট সিগন্যাল বা নিবেশিত সংকেতের সময় পরিবর্তনকে প্রকাশ করা যায়। ধরা যাক ইনপুট সিগন্যালে বিলম্ব বা ডিলে -এর পরিমান হল ''T''. তাহলে, :<math>X^*(s, \Delta)</math> -এই ফাংশনের মাধ্যমে বিলম্বিত তারকা রূপান্তর বা স্টার ট্রান্সফর্মকে নির্দেশিত করা হয় যেখানে Δ হল একটি বিলম্ব পরামিতি বা ''ডিলে প্যারামিটার''। বিলম্বিত তারকা রূপান্তর বা ডিলেড স্টার ট্রান্সফর্ম-কে গানিতিকভাবে নিম্নরূপে প্রকাশ করা যায়:
{{eqn|বিলম্বিত তারকা রূপান্তর}}
:<math>X^*(s, \Delta)
= \mathcal{L}^* \left\{ x(t - \Delta) \right\}
= X(s)e^{-\Delta T s}</math>
অর্থাৎ, তারকা রূপান্তরনের ক্ষেত্রে, সময়ের বিলম্বিত মানকে রূপান্তরিত ক্ষেত্রে একটি ক্ষয়প্রাপ্ত সূচকীয় মানের দ্বারা গুণ করা হয়।
===বিলম্বিত জেড রূপান্তরন===
যেহেতু আমরা জানি যে তারকা রূপান্তরন বা স্টার ট্রান্সফর্ম জেড রুপান্তরন সাথে নিম্নলিখিত চলরাশির পরিবর্তনের মাধ্যমে সম্পর্কিত:
:<math>z = e^{-sT}</math>
উপরের ফলাফলটি ব্যাখ্যা করে আমরা দেখাতে পারি যে জেড রূপান্তরন সিস্টেমের বিলম্বের প্রতি কীভাবে প্রতিক্রিয়া দেখায়:
:<math>\mathcal{Z}(x[t - T]) = X(z)z^{-T}</math>
জেড রূপান্তরনের ধারনা অনুসারে এই ফলাফল প্রত্যাশিত ছিল।
এখন আমরা জানি যে, কিভাবে সময়ের পরিবর্তনের ফলে সিস্টেমের জেড রূপান্তরনে প্রভাব ফেলে, জেড রূপান্তরনের এই পরিবর্তনকে বিশ্লেষনের সুবিধার্থে '''বিলম্বিত জেড রূপান্তরন''' বা '''ডিলেড জেড ট্রান্সফর্ম''' হিসাবে অভিহিত করা হয়। বিলম্বিত জেড রূপান্তরন একটি ফাংশন যার দুটি চলরাশি বর্তমান ''z'' এবং Δ, একে গানিতিকভাবে নিম্নরূপে সংজ্ঞায়িত করা যায়:
:<math>X(z, \Delta)
= \mathcal{Z} \left\{ x(t - \Delta) \right\}
= \mathcal{Z} \left\{ X(s)e^{-\Delta T s} \right\}</math>
এবং অবশেষে:
{{eqn|বিলম্বিত জেড রূপান্তরন}}
:<math>\mathcal{Z}(x[n], \Delta) = X(z, \Delta) = \sum_{n=-\infty}^\infty x[n - \Delta]z^{-n}</math>
==পরিবর্তিত জেড রূপান্তরন==
{{Wikipedia|উন্নত জেড রূপান্তরন}}
বিলম্বিত জেড রুপান্তরনের বেশ কিছু বযাবহার আছে, তবে গনিতজ্ঞ ও প্রকৌশলবিদরা জেড রূপান্তরনের একটি পরিবর্তিত এবং আরও বেশি সুবিধাযুক্ত একটি সংস্করনের উদ্ভাবন করেছে। জেড রূপান্তরনের এই নতুন সংস্করনঅটি বিলম্বিত জেড রূপান্তরনের সমতুল্য, কিন্তু নতুন সংস্করনে চলরাশির সামান্য পরিবর্তন আছে। এই নতুন সংস্করন '''মডিফায়েড জেড ট্রান্সফর্ম''' বা '''পরিবর্তিত জেড রূপান্তরন''' নামে পরিচিত। এই ''পরিবর্তিত জেড রূপান্তরন'' -কে ''বিলম্বিত জেড রূপান্তরন'' -এর মাধ্যমে নিম্নরূপে সংজ্ঞায়িত করা যায়:
:<math>X(z, m)
= X(z, \Delta)\big|_{\Delta \to 1 - m}
= \mathcal{Z} \left\{ X(s)e^{-\Delta T s} \right\}\big|_{\Delta \to 1 - m} </math>
এবং স্পষ্টভাবে বলতে গেলে:
{{eqn|পরিবর্তিত জেড রূপান্তরন}}
:<math>X(z, m) = \mathcal{Z}(x[n], m) = \sum_{n = -\infty}^{\infty} x[n + m - 1]z^{-n}</math>
{{Control Systems/Nav|নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/স্যাম্পলড ডেটা সিস্টেম| নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/পোল ও জিরো}}
59al7z6lq7ec4wbu7p6d2b30qev2b82
84772
84771
2025-06-18T05:15:03Z
RDasgupta2020
8748
/* পরিবর্তিত জেড রূপান্তরন */
84772
wikitext
text/x-wiki
{{Control Systems/Page|নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/স্যাম্পলড ডেটা সিস্টেম| নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/পোল ও জিরো}}
==বিলম্ব==
বিশ্লেষণের সুবিধার্থে কোন একট যান্ত্রিক সিস্টেম বা ব্যাবস্থাকে এমনভাবে নির্মাণ করা যেতে পারে যাতে তার মধ্যে একটি সহজাত '''বিলম্ব''' -এর প্রবৃত্তি বা ''ডিলে'' বিদ্যমান থাকে। কোন সিস্টেমে বিলম্ব বা ডিলে বিদ্যমান থাকলে তা সিস্টেমে নিবেশিত সংকেত বা ইনপুট সিগন্যালের একটি সময়গত পরিবর্তন ঘটায়, কিন্তু এর ফলে সংকেতের গুণগত বৈশিষ্ট্যে কোনও প্রভাব পরেনা। একটি '''আদর্শ বিলম্ব''' হল সিস্টেমের এমন একটি বৈশিষ্ট্য যা সিগন্যাল বা সংকেতের গঠনগত বৈশিষ্ট্যের একেবারেই কোনো পরিবর্তন না এনে শুধুমাত্র নির্দিষ্ট সময়কাল পর্যন্ত সিগন্যাল বা সংকেতকে বিলম্বিত করে। বিলম্বের কিছু নির্দিষ্ট প্রকার, যেমন প্রক্রিয়াকরণ বিলম্ব (প্রসেসিং ডিলে) বা সংকেত প্রেরণ বিলম্ব (ট্রান্সমিশন ডিলে, ইনপুট থেকে আউটপুটে সংকেত বা সিগন্যাল প্রেরনে যে বিলম্ব হয়) -এই সমস্ত কিছু অনিচ্ছাকৃত কারনবশত হয়। অন্যদিকে, কিছু বিলম্ব যেমন সিঙ্ক্রোনাইজেশন বিলম্ব -এগুলি একটি সিস্টেমের অবিচ্ছেদ্য অংশ। এই অধ্যায়ে আমরা আলোচনা করব সিস্টেমে কীভাবে বিলম্ব বা ডিলে ব্যবহৃত হয় এবং ল্যাপ্লেস গাণিতিক ক্ষেত্রে (ডোমেইনে) তা কীভাবে উপস্থাপন করা হয়। একবার বিলম্বকে ল্যাপ্লেস ডোমেইনে উপস্থাপন করা হলে, নির্দিষ্ট চলরাশির পরিবর্তনের মাধ্যমে অন্যান্য গাণিতিক রূপয়ান্তরন প্রক্রিয়ার সাহায্যে বিলম্বকে সহজেই ব্যাখা করা যায়।
===আদর্শ বিলম্ব===
'''আদর্শ বিলম্ব''' কোন ব্যাবস্থা বা সিস্টেমের ইনপুট সিগন্যাল বা নিবেশিত সংকেতকে, সময়ের সাপেক্ষে তরান্বিত করে। আদর্শ বিলম্বের ফলে সিস্টেমের আউটপুট বা বহিঃসংকেত একটি সীমিত, পূর্বনির্ধারিত সময়ের জন্য বিলম্বিত হয়।
[[Image:Ideal Delay.svg|400px|center]]
==সময় পরিবর্তন==
ধরা যাক আমাদের কাছে একটি ফাংশন আছে, এবার আমরা সেই ফাংশনের সময়কালে কিছুটা পরিবর্তিত করা হল এবং সেই পরিবর্তনের মান একটি নির্দিষ্ট ধ্রুবক সময়কাল ''T'' -এর সমান। এবার আমরা এই সময়য় সাপেক্ষে বিলম্বিত ফাংশনকে আমরা গাণিতিকভাবে ''x(t - T)'' -এর মাধ্যমে প্রকাশ করতে পারি। তাহলে এবার ''x(t - T)'' -এর ল্যাপ্লেস রূপান্তরটি হবে:
:<math>\mathcal{L}\{x(t - T)\} \Leftrightarrow e^{-sT}X(s)</math>
- আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, সময় পরিবর্তনের মান (''T'') ল্যাপ্লেস ক্ষেত্রে পরিবর্তিত জটিল রাশির সূচকে পরিনত হয়েছে।
===Z-গাণিতিক ক্ষেত্রে (ডোমেইন) পরিবর্তন===
যেহেতু আমরা '''Z''' গাণিতিক রূপান্তরন এবং স্টার গাণিতিক রূপান্তরনের মধ্যে নিম্নলিখিত সাধারণ সম্পর্কটি জানি:
:<math>z \Leftrightarrow e^{sT}</math>:
এর মাধ্যমে আমরা দেখাতে পারি, যে বিচ্ছিন্ন-সময় (ডিসক্রিট-টাইম) সাপেক্ষে একটি সিস্টেমের সময় পরিবর্তনকে '''Z''' (জেড) গাণিতিক রূপান্তরনের মাধ্যমে কিভাবে প্রকাশ করা যায়:
:<math>x((n-n_s)\cdot T)\equiv x[n - n_s] \Leftrightarrow z^{-n_s}X(z)</math>
==বিলম্ব এবং স্থিতিশীলতা==
উপরের সমীকরন থেকে আমরা দেখছি যে কোন সিস্টেমের সময় এককের পরিবর্তন ঘটিয়ে বিলম্ব ঘটালে সেই পরিবর্তিত সময়ের মান সিস্টেমের ল্যাপ্লেস রূপান্তর চিহ্নিতকারী জটিল রাশির সূচকীয় পরিবর্তন ঘটায়। এর মাধ্যমে ধারনা করা যেতে পারে যে, সময়ের পরিবর্তন কোন সিস্টেমের স্থিতিশীলতার উপর প্রভাব ফেলতে পারে এবং তার ফলে সিস্টেম অস্থির হইয়ে উঠতে পারে। এই সমস্যার সমাধানের জন্য একটি নতুন পরামিতির ধারনা বিস্তারলাভ করেছে যাকে মূলত ''সময় সীমানা'' বা ''টাইম মার্জিন'' হিসাবে সম্বোধন করা হয়। এই পরামিতির মাধ্যমে আমরা পরিমাপ করে পারি যে, কোন সিস্টেমের কতখানি সময় পরিবর্তন করা উপযুক্ত, অর্থাৎ সিস্টেমের ইনপুট ফাংশন বা নিবেশিত ফাংশনে ঠিক কতখানি সময় পরিবর্তন করলে সিস্টেমে অস্থির হবেনা। যদি কোন সিস্টেমে সময় পরিবর্তন করার পরও সিস্টেমটি তার স্থিতাবস্থা হারায়না তাহলে আমরা বলে পারি যে সেই সিস্টেমের টাইম মার্জিন বা সময় সীমানার মান অসীম।
==বিলম্ব সীমানা(ডিলে মার্জিন)==
[[w:সাইন তরঙ্গ|সাইন তরঙ্গ সিগন্যাল]] -এর ক্ষেত্রে ''সময় পরিবর্তন'' বা ''টাইম সিফট'' সম্পর্কে আলোচনা করা অপ্রয়োজনীয়, কারন এই ধরনের সংকেতে সময়ের থেকে তরঙ্গের ''ফেজ্'' বা ''দশা'' -এর গুরুত্ব বেশি। তাই এক্ষেত্রে আমরা সিগন্যাল বা সংকেতের দশা পরিবর্তনের উপর মনোনিবেশ করব। সময় পরিবর্তনের জন্য যেমন আছে ''টাইম মার্জিন'' বা ''সময় সীমানা'' সেরকমই দশা পরিবর্তনের ক্ষেত্রে আছে ''ফেজ্ মার্জিন'' বা ''দশা সীমানা''। সিস্টেমের ইনপুট সিগন্যাল বা নিবেশিত সংকেতে যে পরিমান দশা পরিবর্তন ঘটালে সিস্টেম অস্থির হবেনা সেই মানই হল ''দশা সীমানা'' বা ''ফেজ্ মার্জিন''।
''দশা সীমানা'' বা''ফেজ্ মার্জিন'' -কে গ্রীক অক্ষর φ (ফাই) -এর মাধ্যমে চিহ্নিত করা যায়। ''দশা সীমানা'' -কে গাণিতিক ভাষায় একটি দ্বিতীয় ক্রমের সিস্টেম বিশ্লেষণকারী সমীকরনের মাধ্যমে প্রদর্শন করা যায়,
{{eqn|বিলম্ব সীমানা}}
:<math>\phi_m = \tan^{-1} \left[ \frac{2 \zeta}{(\sqrt{4 \zeta^4 + 1} - 2\zeta^2)^{1/2}}\right]</math>
''দশা সীমানা'' -এর আনুমানিক মান নিম্নলিখিত সম্পর্ক দ্বারা নির্ধারিত করা হয়,
{{eqn|বিলম্ব সীমানা (আনুমানিক)}}
:<math>\phi_m \approx 100\zeta</math>
-এখানে গ্রীক অক্ষর জীটা (ζ) -এর মাধ্যমে সিস্টেমের '''অবমন্দন অনুপাত''' বা '''ড্যাম্পিং রেশিও''' -কে নির্দেশ করা হয়। আমরা পরবর্তী অধ্যায়ে এই রাশি সম্পর্কে আরও বিস্তারিত আলোচনা করব।
== গাণিতিক রূপান্তরনের ক্ষেত্রে বিলম্বের প্রভাব ==
যেখানে সময় পরিবর্তনের জন্য সিস্টেম প্রভাবিত হয় অথবা যেখানে সিস্টেমে প্রক্রিয়াকরন বিলম্ব বর্তমান থাকে, সাধারণ '''জেড'''-রূপান্তরন সেইসকল সিস্টেমের ক্ষেত্রে প্রভাবশালী নয়। তবে এইসকল ক্ষেত্রে জেড রূপান্তরনকে কার্যকরী করে তুলতে সামান্য পদ্ধতিগত পরিবর্তন করা হয়। জেড রূপান্তরনের এই বিশেষ পরিবর্তিত সংস্করণটিকে অ্যাডভান্সড জেড-ট্রান্সফর্ম বা উন্নত জেড-রূপান্তরন বলা হয়।
===বিলম্বিত তারকা রূপান্তর (ডিলেড স্টার ট্রান্সফর্ম)===
আদর্শ বিলম্ব বা আইডিয়াল ডিলের ধারনা প্রদর্শনের জন্য, আমরা এখানে দেখাবো যে কিভাবে স্টার ট্রান্সফর্ম বা তারকা রূপান্তর কোন সিস্টেমের ইনপুট সিগন্যাল বা নিবেশিত সংকেতের সময় পরিবর্তনকে প্রকাশ করা যায়। ধরা যাক ইনপুট সিগন্যালে বিলম্ব বা ডিলে -এর পরিমান হল ''T''. তাহলে, :<math>X^*(s, \Delta)</math> -এই ফাংশনের মাধ্যমে বিলম্বিত তারকা রূপান্তর বা স্টার ট্রান্সফর্মকে নির্দেশিত করা হয় যেখানে Δ হল একটি বিলম্ব পরামিতি বা ''ডিলে প্যারামিটার''। বিলম্বিত তারকা রূপান্তর বা ডিলেড স্টার ট্রান্সফর্ম-কে গানিতিকভাবে নিম্নরূপে প্রকাশ করা যায়:
{{eqn|বিলম্বিত তারকা রূপান্তর}}
:<math>X^*(s, \Delta)
= \mathcal{L}^* \left\{ x(t - \Delta) \right\}
= X(s)e^{-\Delta T s}</math>
অর্থাৎ, তারকা রূপান্তরনের ক্ষেত্রে, সময়ের বিলম্বিত মানকে রূপান্তরিত ক্ষেত্রে একটি ক্ষয়প্রাপ্ত সূচকীয় মানের দ্বারা গুণ করা হয়।
===বিলম্বিত জেড রূপান্তরন===
যেহেতু আমরা জানি যে তারকা রূপান্তরন বা স্টার ট্রান্সফর্ম জেড রুপান্তরন সাথে নিম্নলিখিত চলরাশির পরিবর্তনের মাধ্যমে সম্পর্কিত:
:<math>z = e^{-sT}</math>
উপরের ফলাফলটি ব্যাখ্যা করে আমরা দেখাতে পারি যে জেড রূপান্তরন সিস্টেমের বিলম্বের প্রতি কীভাবে প্রতিক্রিয়া দেখায়:
:<math>\mathcal{Z}(x[t - T]) = X(z)z^{-T}</math>
জেড রূপান্তরনের ধারনা অনুসারে এই ফলাফল প্রত্যাশিত ছিল।
এখন আমরা জানি যে, কিভাবে সময়ের পরিবর্তনের ফলে সিস্টেমের জেড রূপান্তরনে প্রভাব ফেলে, জেড রূপান্তরনের এই পরিবর্তনকে বিশ্লেষনের সুবিধার্থে '''বিলম্বিত জেড রূপান্তরন''' বা '''ডিলেড জেড ট্রান্সফর্ম''' হিসাবে অভিহিত করা হয়। বিলম্বিত জেড রূপান্তরন একটি ফাংশন যার দুটি চলরাশি বর্তমান ''z'' এবং Δ, একে গানিতিকভাবে নিম্নরূপে সংজ্ঞায়িত করা যায়:
:<math>X(z, \Delta)
= \mathcal{Z} \left\{ x(t - \Delta) \right\}
= \mathcal{Z} \left\{ X(s)e^{-\Delta T s} \right\}</math>
এবং অবশেষে:
{{eqn|বিলম্বিত জেড রূপান্তরন}}
:<math>\mathcal{Z}(x[n], \Delta) = X(z, \Delta) = \sum_{n=-\infty}^\infty x[n - \Delta]z^{-n}</math>
==পরিবর্তিত জেড রূপান্তরন==
{{Wikipedia|উন্নত জেড রূপান্তরন}}
বিলম্বিত জেড রুপান্তরনের বেশ কিছু ব্যাবহার আছে, তবে গনিতজ্ঞ ও প্রকৌশলবিদরা জেড রূপান্তরনের একটি পরিবর্তিত এবং আরও বেশি সুবিধাযুক্ত একটি সংস্করনের উদ্ভাবন করেছে। জেড রূপান্তরনের এই নতুন সংস্করনঅটি বিলম্বিত জেড রূপান্তরনের সমতুল্য, কিন্তু নতুন সংস্করনে চলরাশির সামান্য পরিবর্তন আছে। এই নতুন সংস্করন '''মডিফায়েড জেড ট্রান্সফর্ম''' বা '''পরিবর্তিত জেড রূপান্তরন''' নামে পরিচিত। এই ''পরিবর্তিত জেড রূপান্তরন'' -কে ''বিলম্বিত জেড রূপান্তরন'' -এর মাধ্যমে নিম্নরূপে সংজ্ঞায়িত করা যায়:
:<math>X(z, m)
= X(z, \Delta)\big|_{\Delta \to 1 - m}
= \mathcal{Z} \left\{ X(s)e^{-\Delta T s} \right\}\big|_{\Delta \to 1 - m} </math>
এবং স্পষ্টভাবে বলতে গেলে:
{{eqn|পরিবর্তিত জেড রূপান্তরন}}
:<math>X(z, m) = \mathcal{Z}(x[n], m) = \sum_{n = -\infty}^{\infty} x[n + m - 1]z^{-n}</math>
{{Control Systems/Nav|নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/স্যাম্পলড ডেটা সিস্টেম| নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/পোল ও জিরো}}
7bmhqrb196zydbeooj2egicp303n7za
নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/সিস্টেম মডেলিং
0
26228
84782
81739
2025-06-18T07:29:11Z
RDasgupta2020
8748
/* নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়া */
84782
wikitext
text/x-wiki
{{Control Systems/Page|নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/সিস্টেম মেট্রিক্স| নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/রূপান্তর}}
==নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়া==
একজন নিয়ন্ত্রন ব্যাবস্থা প্রকৌশলীর কাজ হলো বিদ্যমান সিস্টেম বিশ্লেষণ করা এবং নির্দিষ্ট চাহিদা পূরণের জন্য নতুন সিস্টেমের নকশা প্রস্তুত করা। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে প্রায়শই বিদ্যমান সিস্টেম বা ব্যাবস্থার কর্মক্ষমতা উন্নত করার জন্য সিস্টেমের একটি নিয়ন্ত্রনকারী একক যন্ত্রাংশ (কন্ট্রোল ইউনিট) -এর নকশা প্রস্তুত করার প্রয়োজন হয়। তবে কখনো কখনো সম্পূর্ন যান্ত্রিক সিস্টেমেরই নকশা প্রস্তুত করার প্রয়োজন হয়ে পরে। একটি সিস্টেমের নকশা প্রস্তুত করার সময়, অথবা একটি বিদ্যমান সিস্টেমকে উন্নত করার জন্য একটি নিয়ন্ত্রক প্রস্তুতির সময় কিছু মৌলিক পদক্ষেপ অনুসরণ করতে হয়, যেগুলি সিস্টেমের মানদন্ড বজায় রাখার জন্য অত্যন্ত জরুরী। এই মৌলিক পদক্ষেপগুলি সম্পর্কে নিম্নে আলোচনা করা হয়েছে:
#প্রথমে গাণিতিকভাবে সিস্টেমটির নকশা বা মডেল তৈরি করঅতে হয়।
#এরপর গাণিতিক মডেল বা নকশার বিশ্লেষণ করা আবশ্যক।
#সিস্টেম/নিয়ন্ত্রক(কন্ট্রোলার) -এর জন্য প্রথম তার নকশা প্রস্তুত করতে হয়।
#এবার সেই নকশার উপর ভিত্তি করে সিস্টেম/নিয়ন্ত্রকটি বাস্তবে তৈরী করা হয় এবং তারপর তার কার্যকারিতা পরীক্ষা করা হয়।
এই বইয়ের বেশিরভাগ অংশই উপরিউক্ত নির্দেশ তালিকার মধযে দ্বিতীয় ধাপ অর্থাৎ গাণিতিক পদ্ধতির বিশ্লেষণের উপর কেন্দ্রীভূত হবে। এই অধ্যাইয়ে শুধুমাত্র সিস্টেমগুলির গাণিতিক মডেল প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনার করা হবে।
==বাহ্যিক বর্ণনা==
একটি সিস্টেমের বাহ্যিক বর্ণনার সময় সিস্টেমের নিবেশিত অংশ বা ইনপুটের সাথে সিস্টেমের বাহ্যিক অংশ বা আউটপুটের সম্পর্ক প্রদর্শিত করা হয়, কিন্তু এক্ষেত্রে সিস্টেমের অভ্যন্তরীণ কার্যকারিতা ও অন্যান্য জটিল বিষয় সম্পর্কে কোন সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা দেওয়া হয়না। একটি সিস্টেমের বাহ্যিক বর্ণনাকে কখনও কখনও সিস্টেমের ইনপুট-আউটপুট বর্ণনাও বলা হয় , কারণ এতে কেবলমাত্র সিস্টেমের ইনপুট এবং আউটপুটের উপরই মনোনিবেশ করা হয়।
[[Image:Time-Domain Transfer Block.svg|center]]
যদি সিস্টেমটিকে একতি গাণিতিক ফাংশন ''h(t, r)'' -এর মাধ্যমে প্রকাশ করা যায় যেখানে ''t'' সময়ে সিস্টেম থেকে আউটপুট বা কাঙ্খিত ফলাফল পাওয়া যায় এবং ''r'' হল সেই সময় যখন সিস্টেমে নিবেশিত মান বা ইনপুট প্রয়োগ করা হয়েছে, তাহলে সিস্টেম ফাংশন ''h(t, r)'' -এর সাথে ইনপুট মান ''x'' এবং আউটপুট মান ''y'' -এর সম্পর্ক নিম্নলিখিত সমাকলনের মাধ্যমে প্রকাশ করা যায়:
{{eqn|সাধারণ সিস্টেমের বর্ণনা}}
:<math>y(t) = \int_{-\infty}^\infty h(t, r)x(r)dr</math>
এই সমীকরনের মাধ্যমে সমস্ত রৈখিক সিস্টেমের বর্ণনা করা যায়।
যদি সিস্টেমে ''t=r'' সময়ে প্রয়োগীকৃত নিবেশ বা ইনপুট সংকেত সিস্টেমের কার্যকারিতাকে একমাত্র তখনই প্রভাবিত করতে পারে যখন, <math>t \ge r</math> এবং ''t=0'' সময়ের পূর্বে যদি সিস্টেমে কোন প্রকার ইনপুট প্রয়োগ না করা হয়, তাহলে আমরা উপরের সমাকলনের সীমাতি নিম্নরূপে পরিবর্তিত করতে পারি:
:<math>y(t) = \int_0^t h(t, r)x(r)dr</math>
===সময় নিরপেক্ষ ব্যাবস্থা===
যদি কোনও সিস্টেম বা ব্যাবস্থা সময় নিরপেক্ষ হয়, তাহলে আমরা সিস্টেম বর্ণনা সমীকরণটি নিম্নরূপে পুনর্লিখন করতে পারি:
:<math>y(t) = \int_0^t h(t - r)x(r)dr</math>
এই সমীকরণটি কনভোল্যুশন সমাকলন নামে পরিচিত , এবং আমরা পরবর্তী অধ্যায়ে এটি সম্পর্কে আরও আলোচনা করব।
প্রত্যেক সময়-নিরপেক্ষ রৈখিক সিস্টেম (এলটিআই) -কে '''ল্যাপ্লেস রুপান্তরন''', নামক গাণিতিক মডেলের মাধ্যমে সংজ্ঞায়িত করা যায়। এই বহু ব্যাবহৃত গানিতিক মডেলের মাধ্যমে কোন সময় নির্ভর সিস্টেমের গাণিতিক মডেলকে কম্পাঙ্ক নির্ভর ক্ষেত্র বা ফ্রিকোয়েন্সি ডোমেইন -এ পরিবর্তিত করা যায় (ল্যাপ্লেস রূপান্তরনে ফ্রিকোয়েন্সি ডোমেইনকে এস-ডোমেইন বলা হয়), যার ফলে অনেক সমীকরনের সমাধান অত্যন্ত সহজ হয়। সময় নিরপেক্ষ সিস্টেমের ক্ষেত্রে ল্যাপ্লেস রুপান্তরন ব্যাবহার করা যায়না।
==অভ্যন্তরীণ বর্ণনা==
যদি কোনো সিস্টেম রৈখিক এবং সমাকীর্ণ (লাম্পড) হয়, তাহলে সেটিকে একটি সমীকরণ-ভিত্তিক ব্যবস্থায় বর্ণনা করা যায়, যাকে বলা হয় '''স্টেট-স্পেস সমীকরণ'''। স্টেট-স্পেস সমীকরণে আমরা সিস্টেমের অভ্যন্তরীণ অবস্থা বোঝাতে চলরাশি ''x'' ব্যবহার করি। সিস্টেমে ইনপুট বা নিবেশিত মান বোঝাতে ''u'' এবং সিস্টেমের আউটপুট বা ফলাফল বোঝাতে ''y'' ব্যবহার করা হয়। আমরা স্টেট-স্পেস সমীকরণগুলোকে নিম্নরূপে প্রকাশ করতে পারি:
:<math>x'(t) = A(t)x(t) + B(t)u(t)</math>
:<math>y(t) = C(t)x(t) + D(t)u(t)</math>
আধুনিক নিয়ন্ত্রন ব্যাবস্থার আলোচনার সময় আমরা স্টেট-স্পেস সমীকরনের ব্যাপারে বিশদে আলোচনা করব।
==জটিল বর্ণনা==
সময়-নিরপেক্ষ রৈখিক সিস্টেম এবং সমাকীর্ণ সিস্টেমসমূহকে স্টেট-স্পেস সমীকরণ এবং ল্যাপ্লেস রুপান্তরনের সংমিশ্রণ ব্যবহার করেও বর্ণনা করা যেতে পারে। যদি আমরা উপরে তালিকাভুক্ত স্টেট-স্পেস সমীকরণগুলির ল্যাপ্লেস রূপান্তরন নির্ধারণ করি, তাহলে আমরা রূপান্তরন ম্যাট্রিক্স (ট্রান্সফার ম্যাট্রিক্স) ফাংশন নামে পরিচিত ফাংশনের একটি সেট পেতে পারি। আমরা পরবর্তী অধ্যায়ে এই ফাংশনগুলি নিয়ে আলোচনা করব।
==উপস্থাপনা==
নিম্নের তালিকায় বিভিন্ন সিস্টেম বা ব্যাবস্থার বৈশিষ্ট্য এবং তাদের বিশ্লেশষনের জন্য বযাবহৃত একাধিক গাণিতিক মডেল সম্পর্কে বর্ণনা করা হয়েছে:
:{| class="wikitable"
|-
!বৈশিষ্ট্য !! স্টেট-স্পেস<br>সমীকরন !! ল্যাপ্লেস<br> রূপান্তর !! রূপান্তরন<br>ম্যাট্রিক্স
|-
|রৈখিক, সময়-সাপেক্ষ, বিন্যাস্ত || না || না || না
|-
|রৈখিক, সময়-সাপেক্, সমাকীর্ণ || হ্যাঁ || না || না
|-
|রৈখিক, সময়-নিরপেক্ষ, বিন্যাস্ত || না || হ্যাঁ || না
|-
|রৈখিক, সময়-নিরপেক্ষ, সমাকীর্ণ || হ্যাঁ || হ্যাঁ || হ্যাঁ
|}
আমরা পরের অধ্যায়ে এইরূপ নানা রকম সিস্টেমের উপস্থাপনা সম্পর্কে আলোচনা করব।
==বিশ্লেষণ==
উপরে তালিকাভুক্ত উপস্থাপনাগুলির যেকোন একটি ব্যবহার করে কোনো সিস্টেমের প্রাথমিক নকশা প্রস্তুত করা হলে, প্রথমে সেই সিস্টেমের বিশ্লেষণ প্রয়োজন। আমরা সিস্টেমের বিভিন্ন পরিমাপক নির্ধারণ করতে পারি এবং তারপর সেই পরিমাপগুলিকে আমাদের নির্ধারিত মানদন্ডের সঙ্গে তুলনা করতে পারি। যদি সিস্টেমটি সেই মানদন্ডগুলি পূরণ করে, তাহলে সিস্টেমের নকশা প্রস্তুত করার প্রক্রিয়া শেষ। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সিস্টেমটি নির্ধারিত মানদন্ড পূরণ করে না। সেই ক্ষেত্রে উপযুক্ত যান্ত্রিক নিয়ন্ত্রক (কন্ট্রোলার) এবং যান্ত্রিক ক্ষতিপূরনকারী (কম্পেনসেটর) -এর নকশা প্রস্তুত করে সিস্টেমে যুক্ত করতে হয়।
কিন্তু কন্ট্রোলার এবং কম্পেনসেটর ডিজাইন করলেই কাজ শেষ হয়ে যায় না — নতুনভাবে তৈরি করা সম্মিলিত সিস্টেমটিকে বিশ্লেষণ করতে হয়, যাতে নিশ্চিত হওয়া যায় যে নতুন যুক্ত যন্ত্রাংশগুলি ঠিকভাবে কাজ করছে। পাশাপাশি, আমাদের নিশ্চিত করতে হয় যে সিস্টেমটি স্থিতিশীল আছে — কারণ, অস্থিতিশীল সিস্টেম বিপজ্জনক হতে পারে।
===কম্পাঙ্কের সাপেক্ষে বিশ্লেষণ===
সিস্টেমের প্রাথমিক ডিজাইন বা দ্রুত বিশ্লেষণের ক্ষেত্রে ফ্রিকোয়েন্সি ডোমেইন বা কম্পাঙ্কের সাপেক্ষে বিশ্লেষণ, সময় এককের সাপেক্ষে বিশ্লেষণের থেকে সহজ ও কার্যকর হয়। কম্পাঙ্কের সাপেক্ষে বিশ্লেষণের প্রক্রিয়ায় সিস্টেমে উৎপন্ন অস্থিতার শক্তি বিভাজনকে (পাওয়ার স্পেক্ট্রাল ডেনসিটি বা পিএসডি) সরাসরি ব্যবহার করা যায়, ট্রান্সফার ফাংশনও সরাসরি প্রয়োগ করা যায়, এবং এর ফলাফলও সহজে পাওয়া যায়। এই বিশ্লেষণে যে আউটপুট বা ফলাফল পাওয়া যায় তা সাধারণত সময়ের সাপেক্ষে স্থিতিশীল থাকে (স্টেডি-স্টেট রেসপন্স) হয়। সিস্টেমের সাথে যুক্ত অনেক যান্ত্রিক নিয়ন্ত্রকই আউটপুটের মান শূন্যে নামিয়ে আনতে চেষ্টা করে। তাই এই স্টেডি-স্টেট রেসপন্স আসলে সিস্টেমের একটি চূড়ান্ত ত্রুটি যা বিশ্লেষণের চূড়ান্ত ফলাফল বা মানদন্ড হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
<div align="center">
{| style="width:600px; background:transparent; font-size:120%" align="center" border="5"
|+ '''সারনী ১: কম্পাঙ্কের সাপেক্ষে প্রস্তাবিত ইনপুট এবং আউটপুট'''
! ইনপুট !! প্রস্তাবনা !! আউটপুট
|- style="background:transparent; color:#C00000;" align="center"
| পিএসডি
| স্থানান্তর ফাংশন
| পিএসডি
|}
</div>
====গণিতের সংক্ষিপ্ত বিবরণ====
ফ্রিকোয়েন্সি ডোমাইন বা কম্পাঙ্ক সাপেক্ষে সিস্টেমের বিশ্লেষণ হল এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে সিস্টেমের স্পন্দন প্রতিক্রিয়া বা ইমপালস রেসপন্স নির্ধারণ করা যায়।
[[Image:FreqDomainBlocks.png|thumb|center|500px|চিত্র ১: ফ্রিকোয়েন্সি ডোমেন সিস্টেম]]
:<math>S_{YY}\left(\omega\right)=G^*\left(\omega\right)G\left(\omega\right)S_{XX}= \left | G\left(\omega\right)\right \vert S_{XX}</math><ref>Sun, Jian-Qiao (2006). ''Stochastic Dynamics and Control, Volume 4''. Amsterdam: Elsevier Science. {{ISBN|0444522301}}.</ref>
যেখানে,
::<math>S_{XX}\left(\omega\right)</math> হল সিস্টেমের অস্থিতার শক্তি বিভাজন বা পিএসডি, যার একক <math>\frac{magnitude^2}{Hz}</math>
::<math>G\left(\omega\right)</math> হল সিস্টেমের ফাংশন যা কম্পাঙ্ক ক্ষেত্রে পরিবর্তিত হয়েছে। একে ফ্রিকোয়েন্সি রেসপন্স ফাংশনও বলে
::<math>S_{YY}\left(\omega\right)</math> আউটপুট ফাংশনের পিএসডি।
ফ্রিকোয়েন্সি রেসপন্স ফাংশন, <math>G\left(\omega\right)</math>, সিস্টেমের রূপান্তরন ফাংশনের সাথে সম্পর্কিত।
বিভিন্ন বইয়ে এ নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন মত পাওয়া যায়। কিছু বই বলে, উপরোক্ত সমীকরণ কেবলমাত্র স্থিতিশীল লক্ষ্যবিহীন (র্যান্ডম) প্রক্রিয়ার জন্যই প্রযোজ্য। অন্য কিছু বইতে অন্যান্য কিছু প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে উপরের সমীকরণ প্রযোজ্যতার কথা বলে উল্লেখ করা হয়েছে। কিছু বইতে আবার কঠোরভাবে স্থিতিশীল (সমস্ত ক্রমের গাণিতিক গড় অপরিবর্তিত) এবং দুর্বল স্থিতিশীল সিস্টেমের মধ্যে কোনো পার্থক্য করে না তবে বাস্তব ক্ষেত্রে সাধারণভাবে যা ধরা হয়, তা হলো: যদি সিস্টেমের ইনপুট সিগন্যালের শক্তি বিভাজন বা পি এস ডি ঘণ্টার পর ঘণ্টা বা দিনের পর দিন একরকম থাকে, তবে সেটিকে স্থিতিশীল সিস্টেম ধরা যায় এবং তখন উপরের সমীকরণটি ব্যবহারযোগ্য ও বৈধ।
==মন্তব্য==
<references />
*[http://wikis.controltheorypro.com/index.php?title=Frequency_Domain_Modeling উদাহরন সহ সিস্টেম মডেলিং -এর ব্যাখ্যা]
==মডেলিং উদাহরণ==
নিয়ন্ত্রন ব্যাবস্থায় মডেলিং প্রায়শই বিচার-বিবেচনার বিষয়।অন্যদের তৈরী মডেল থেকে শেখার মাধ্যমে অনেক কিছু জানা যায়। কিছু সাইট যেখানে অনেক উদাহরণ রয়েছে। এখানে কয়েকটির লিঙ্ক দেওয়া হল।
* [https://web.archive.org/web/20121214093707/http://wikis.controltheorypro.com/index.php?title=Helicopter_Hover_Example হেলিকপ্টারের উদাহরণ]
* [https://web.archive.org/web/20160325175552/wikis.controltheorypro.com/index.php?title=Reaction_Cancellation_Example বিক্রিয়া টর্ক]
* [https://web.archive.org/web/20150919081842/http://wikis.controltheorypro.com/index.php?title=Category:Examples কন্ট্রোলথেরাপি প্রো ডট কম-এ সকল উদাহরণের তালিকা]
==উৎপাদন==
সঠিকভাবে সিস্টেমটির নকশা প্রস্তুত করা হয়ে গেলে আমরা আমাদের সিস্টেমটির একতি প্রাথমিক মডেল তৈরি করতে পারি এবং এটি পরীক্ষা করতে পারি। ধরে নিই যে আমাদের বিশ্লেষণ সঠিক ছিল এবং আমাদের নকশাটি ভাল, প্প্রাথমিক মডেল প্রত্যাশা অনুযায়ী কাজ করবে। এখন আমরা আমাদের সিস্টেমগুলি বাস্তবে তৈরি করার লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে পারি।
{{Control Systems/Nav|নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/সিস্টেম মেট্রিক্স| নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/রূপান্তর}}
gjjxvtr7zoxuh2o39hgcj1mp1b1v48q
84783
84782
2025-06-18T07:30:22Z
RDasgupta2020
8748
/* বাহ্যিক বর্ণনা */
84783
wikitext
text/x-wiki
{{Control Systems/Page|নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/সিস্টেম মেট্রিক্স| নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/রূপান্তর}}
==নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়া==
একজন নিয়ন্ত্রন ব্যাবস্থা প্রকৌশলীর কাজ হলো বিদ্যমান সিস্টেম বিশ্লেষণ করা এবং নির্দিষ্ট চাহিদা পূরণের জন্য নতুন সিস্টেমের নকশা প্রস্তুত করা। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে প্রায়শই বিদ্যমান সিস্টেম বা ব্যাবস্থার কর্মক্ষমতা উন্নত করার জন্য সিস্টেমের একটি নিয়ন্ত্রনকারী একক যন্ত্রাংশ (কন্ট্রোল ইউনিট) -এর নকশা প্রস্তুত করার প্রয়োজন হয়। তবে কখনো কখনো সম্পূর্ন যান্ত্রিক সিস্টেমেরই নকশা প্রস্তুত করার প্রয়োজন হয়ে পরে। একটি সিস্টেমের নকশা প্রস্তুত করার সময়, অথবা একটি বিদ্যমান সিস্টেমকে উন্নত করার জন্য একটি নিয়ন্ত্রক প্রস্তুতির সময় কিছু মৌলিক পদক্ষেপ অনুসরণ করতে হয়, যেগুলি সিস্টেমের মানদন্ড বজায় রাখার জন্য অত্যন্ত জরুরী। এই মৌলিক পদক্ষেপগুলি সম্পর্কে নিম্নে আলোচনা করা হয়েছে:
#প্রথমে গাণিতিকভাবে সিস্টেমটির নকশা বা মডেল তৈরি করঅতে হয়।
#এরপর গাণিতিক মডেল বা নকশার বিশ্লেষণ করা আবশ্যক।
#সিস্টেম/নিয়ন্ত্রক(কন্ট্রোলার) -এর জন্য প্রথম তার নকশা প্রস্তুত করতে হয়।
#এবার সেই নকশার উপর ভিত্তি করে সিস্টেম/নিয়ন্ত্রকটি বাস্তবে তৈরী করা হয় এবং তারপর তার কার্যকারিতা পরীক্ষা করা হয়।
এই বইয়ের বেশিরভাগ অংশই উপরিউক্ত নির্দেশ তালিকার মধযে দ্বিতীয় ধাপ অর্থাৎ গাণিতিক পদ্ধতির বিশ্লেষণের উপর কেন্দ্রীভূত হবে। এই অধ্যাইয়ে শুধুমাত্র সিস্টেমগুলির গাণিতিক মডেল প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনার করা হবে।
==বাহ্যিক বর্ণনা==
একটি সিস্টেমের পূর্ণ অবয়ব সংক্ষেপে বর্ণনা করার সময় সিস্টেমের নিবেশিত অংশ বা ইনপুটের সাথে সিস্টেমের বাহ্যিক অংশ বা আউটপুটের সম্পর্ক প্রদর্শিত করা হয়, কিন্তু এক্ষেত্রে সিস্টেমের অভ্যন্তরীণ কার্যকারিতা ও অন্যান্য জটিল বিষয় সম্পর্কে কোন সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা দেওয়া হয়না। একটি সিস্টেমের বাহ্যিক বর্ণনাকে কখনও কখনও সিস্টেমের ইনপুট-আউটপুট বর্ণনাও বলা হয় , কারণ এতে কেবলমাত্র সিস্টেমের ইনপুট এবং আউটপুটের উপরই মনোনিবেশ করা হয়।
[[Image:Time-Domain Transfer Block.svg|center]]
যদি সিস্টেমটিকে একতি গাণিতিক ফাংশন ''h(t, r)'' -এর মাধ্যমে প্রকাশ করা যায় যেখানে ''t'' সময়ে সিস্টেম থেকে আউটপুট বা কাঙ্খিত ফলাফল পাওয়া যায় এবং ''r'' হল সেই সময় যখন সিস্টেমে নিবেশিত মান বা ইনপুট প্রয়োগ করা হয়েছে, তাহলে সিস্টেম ফাংশন ''h(t, r)'' -এর সাথে ইনপুট মান ''x'' এবং আউটপুট মান ''y'' -এর সম্পর্ক নিম্নলিখিত সমাকলনের মাধ্যমে প্রকাশ করা যায়:
{{eqn|সাধারণ সিস্টেমের বর্ণনা}}
:<math>y(t) = \int_{-\infty}^\infty h(t, r)x(r)dr</math>
এই সমীকরনের মাধ্যমে সমস্ত রৈখিক সিস্টেমের বর্ণনা করা যায়।
যদি সিস্টেমে ''t=r'' সময়ে প্রয়োগীকৃত নিবেশ বা ইনপুট সংকেত সিস্টেমের কার্যকারিতাকে একমাত্র তখনই প্রভাবিত করতে পারে যখন, <math>t \ge r</math> এবং ''t=0'' সময়ের পূর্বে যদি সিস্টেমে কোন প্রকার ইনপুট প্রয়োগ না করা হয়, তাহলে আমরা উপরের সমাকলনের সীমাতি নিম্নরূপে পরিবর্তিত করতে পারি:
:<math>y(t) = \int_0^t h(t, r)x(r)dr</math>
===সময় নিরপেক্ষ ব্যাবস্থা===
যদি কোনও সিস্টেম বা ব্যাবস্থা সময় নিরপেক্ষ হয়, তাহলে আমরা সিস্টেম বর্ণনা সমীকরণটি নিম্নরূপে পুনর্লিখন করতে পারি:
:<math>y(t) = \int_0^t h(t - r)x(r)dr</math>
এই সমীকরণটি কনভোল্যুশন সমাকলন নামে পরিচিত , এবং আমরা পরবর্তী অধ্যায়ে এটি সম্পর্কে আরও আলোচনা করব।
প্রত্যেক সময়-নিরপেক্ষ রৈখিক সিস্টেম (এলটিআই) -কে '''ল্যাপ্লেস রুপান্তরন''', নামক গাণিতিক মডেলের মাধ্যমে সংজ্ঞায়িত করা যায়। এই বহু ব্যাবহৃত গানিতিক মডেলের মাধ্যমে কোন সময় নির্ভর সিস্টেমের গাণিতিক মডেলকে কম্পাঙ্ক নির্ভর ক্ষেত্র বা ফ্রিকোয়েন্সি ডোমেইন -এ পরিবর্তিত করা যায় (ল্যাপ্লেস রূপান্তরনে ফ্রিকোয়েন্সি ডোমেইনকে এস-ডোমেইন বলা হয়), যার ফলে অনেক সমীকরনের সমাধান অত্যন্ত সহজ হয়। সময় নিরপেক্ষ সিস্টেমের ক্ষেত্রে ল্যাপ্লেস রুপান্তরন ব্যাবহার করা যায়না।
==অভ্যন্তরীণ বর্ণনা==
যদি কোনো সিস্টেম রৈখিক এবং সমাকীর্ণ (লাম্পড) হয়, তাহলে সেটিকে একটি সমীকরণ-ভিত্তিক ব্যবস্থায় বর্ণনা করা যায়, যাকে বলা হয় '''স্টেট-স্পেস সমীকরণ'''। স্টেট-স্পেস সমীকরণে আমরা সিস্টেমের অভ্যন্তরীণ অবস্থা বোঝাতে চলরাশি ''x'' ব্যবহার করি। সিস্টেমে ইনপুট বা নিবেশিত মান বোঝাতে ''u'' এবং সিস্টেমের আউটপুট বা ফলাফল বোঝাতে ''y'' ব্যবহার করা হয়। আমরা স্টেট-স্পেস সমীকরণগুলোকে নিম্নরূপে প্রকাশ করতে পারি:
:<math>x'(t) = A(t)x(t) + B(t)u(t)</math>
:<math>y(t) = C(t)x(t) + D(t)u(t)</math>
আধুনিক নিয়ন্ত্রন ব্যাবস্থার আলোচনার সময় আমরা স্টেট-স্পেস সমীকরনের ব্যাপারে বিশদে আলোচনা করব।
==জটিল বর্ণনা==
সময়-নিরপেক্ষ রৈখিক সিস্টেম এবং সমাকীর্ণ সিস্টেমসমূহকে স্টেট-স্পেস সমীকরণ এবং ল্যাপ্লেস রুপান্তরনের সংমিশ্রণ ব্যবহার করেও বর্ণনা করা যেতে পারে। যদি আমরা উপরে তালিকাভুক্ত স্টেট-স্পেস সমীকরণগুলির ল্যাপ্লেস রূপান্তরন নির্ধারণ করি, তাহলে আমরা রূপান্তরন ম্যাট্রিক্স (ট্রান্সফার ম্যাট্রিক্স) ফাংশন নামে পরিচিত ফাংশনের একটি সেট পেতে পারি। আমরা পরবর্তী অধ্যায়ে এই ফাংশনগুলি নিয়ে আলোচনা করব।
==উপস্থাপনা==
নিম্নের তালিকায় বিভিন্ন সিস্টেম বা ব্যাবস্থার বৈশিষ্ট্য এবং তাদের বিশ্লেশষনের জন্য বযাবহৃত একাধিক গাণিতিক মডেল সম্পর্কে বর্ণনা করা হয়েছে:
:{| class="wikitable"
|-
!বৈশিষ্ট্য !! স্টেট-স্পেস<br>সমীকরন !! ল্যাপ্লেস<br> রূপান্তর !! রূপান্তরন<br>ম্যাট্রিক্স
|-
|রৈখিক, সময়-সাপেক্ষ, বিন্যাস্ত || না || না || না
|-
|রৈখিক, সময়-সাপেক্, সমাকীর্ণ || হ্যাঁ || না || না
|-
|রৈখিক, সময়-নিরপেক্ষ, বিন্যাস্ত || না || হ্যাঁ || না
|-
|রৈখিক, সময়-নিরপেক্ষ, সমাকীর্ণ || হ্যাঁ || হ্যাঁ || হ্যাঁ
|}
আমরা পরের অধ্যায়ে এইরূপ নানা রকম সিস্টেমের উপস্থাপনা সম্পর্কে আলোচনা করব।
==বিশ্লেষণ==
উপরে তালিকাভুক্ত উপস্থাপনাগুলির যেকোন একটি ব্যবহার করে কোনো সিস্টেমের প্রাথমিক নকশা প্রস্তুত করা হলে, প্রথমে সেই সিস্টেমের বিশ্লেষণ প্রয়োজন। আমরা সিস্টেমের বিভিন্ন পরিমাপক নির্ধারণ করতে পারি এবং তারপর সেই পরিমাপগুলিকে আমাদের নির্ধারিত মানদন্ডের সঙ্গে তুলনা করতে পারি। যদি সিস্টেমটি সেই মানদন্ডগুলি পূরণ করে, তাহলে সিস্টেমের নকশা প্রস্তুত করার প্রক্রিয়া শেষ। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সিস্টেমটি নির্ধারিত মানদন্ড পূরণ করে না। সেই ক্ষেত্রে উপযুক্ত যান্ত্রিক নিয়ন্ত্রক (কন্ট্রোলার) এবং যান্ত্রিক ক্ষতিপূরনকারী (কম্পেনসেটর) -এর নকশা প্রস্তুত করে সিস্টেমে যুক্ত করতে হয়।
কিন্তু কন্ট্রোলার এবং কম্পেনসেটর ডিজাইন করলেই কাজ শেষ হয়ে যায় না — নতুনভাবে তৈরি করা সম্মিলিত সিস্টেমটিকে বিশ্লেষণ করতে হয়, যাতে নিশ্চিত হওয়া যায় যে নতুন যুক্ত যন্ত্রাংশগুলি ঠিকভাবে কাজ করছে। পাশাপাশি, আমাদের নিশ্চিত করতে হয় যে সিস্টেমটি স্থিতিশীল আছে — কারণ, অস্থিতিশীল সিস্টেম বিপজ্জনক হতে পারে।
===কম্পাঙ্কের সাপেক্ষে বিশ্লেষণ===
সিস্টেমের প্রাথমিক ডিজাইন বা দ্রুত বিশ্লেষণের ক্ষেত্রে ফ্রিকোয়েন্সি ডোমেইন বা কম্পাঙ্কের সাপেক্ষে বিশ্লেষণ, সময় এককের সাপেক্ষে বিশ্লেষণের থেকে সহজ ও কার্যকর হয়। কম্পাঙ্কের সাপেক্ষে বিশ্লেষণের প্রক্রিয়ায় সিস্টেমে উৎপন্ন অস্থিতার শক্তি বিভাজনকে (পাওয়ার স্পেক্ট্রাল ডেনসিটি বা পিএসডি) সরাসরি ব্যবহার করা যায়, ট্রান্সফার ফাংশনও সরাসরি প্রয়োগ করা যায়, এবং এর ফলাফলও সহজে পাওয়া যায়। এই বিশ্লেষণে যে আউটপুট বা ফলাফল পাওয়া যায় তা সাধারণত সময়ের সাপেক্ষে স্থিতিশীল থাকে (স্টেডি-স্টেট রেসপন্স) হয়। সিস্টেমের সাথে যুক্ত অনেক যান্ত্রিক নিয়ন্ত্রকই আউটপুটের মান শূন্যে নামিয়ে আনতে চেষ্টা করে। তাই এই স্টেডি-স্টেট রেসপন্স আসলে সিস্টেমের একটি চূড়ান্ত ত্রুটি যা বিশ্লেষণের চূড়ান্ত ফলাফল বা মানদন্ড হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
<div align="center">
{| style="width:600px; background:transparent; font-size:120%" align="center" border="5"
|+ '''সারনী ১: কম্পাঙ্কের সাপেক্ষে প্রস্তাবিত ইনপুট এবং আউটপুট'''
! ইনপুট !! প্রস্তাবনা !! আউটপুট
|- style="background:transparent; color:#C00000;" align="center"
| পিএসডি
| স্থানান্তর ফাংশন
| পিএসডি
|}
</div>
====গণিতের সংক্ষিপ্ত বিবরণ====
ফ্রিকোয়েন্সি ডোমাইন বা কম্পাঙ্ক সাপেক্ষে সিস্টেমের বিশ্লেষণ হল এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে সিস্টেমের স্পন্দন প্রতিক্রিয়া বা ইমপালস রেসপন্স নির্ধারণ করা যায়।
[[Image:FreqDomainBlocks.png|thumb|center|500px|চিত্র ১: ফ্রিকোয়েন্সি ডোমেন সিস্টেম]]
:<math>S_{YY}\left(\omega\right)=G^*\left(\omega\right)G\left(\omega\right)S_{XX}= \left | G\left(\omega\right)\right \vert S_{XX}</math><ref>Sun, Jian-Qiao (2006). ''Stochastic Dynamics and Control, Volume 4''. Amsterdam: Elsevier Science. {{ISBN|0444522301}}.</ref>
যেখানে,
::<math>S_{XX}\left(\omega\right)</math> হল সিস্টেমের অস্থিতার শক্তি বিভাজন বা পিএসডি, যার একক <math>\frac{magnitude^2}{Hz}</math>
::<math>G\left(\omega\right)</math> হল সিস্টেমের ফাংশন যা কম্পাঙ্ক ক্ষেত্রে পরিবর্তিত হয়েছে। একে ফ্রিকোয়েন্সি রেসপন্স ফাংশনও বলে
::<math>S_{YY}\left(\omega\right)</math> আউটপুট ফাংশনের পিএসডি।
ফ্রিকোয়েন্সি রেসপন্স ফাংশন, <math>G\left(\omega\right)</math>, সিস্টেমের রূপান্তরন ফাংশনের সাথে সম্পর্কিত।
বিভিন্ন বইয়ে এ নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন মত পাওয়া যায়। কিছু বই বলে, উপরোক্ত সমীকরণ কেবলমাত্র স্থিতিশীল লক্ষ্যবিহীন (র্যান্ডম) প্রক্রিয়ার জন্যই প্রযোজ্য। অন্য কিছু বইতে অন্যান্য কিছু প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে উপরের সমীকরণ প্রযোজ্যতার কথা বলে উল্লেখ করা হয়েছে। কিছু বইতে আবার কঠোরভাবে স্থিতিশীল (সমস্ত ক্রমের গাণিতিক গড় অপরিবর্তিত) এবং দুর্বল স্থিতিশীল সিস্টেমের মধ্যে কোনো পার্থক্য করে না তবে বাস্তব ক্ষেত্রে সাধারণভাবে যা ধরা হয়, তা হলো: যদি সিস্টেমের ইনপুট সিগন্যালের শক্তি বিভাজন বা পি এস ডি ঘণ্টার পর ঘণ্টা বা দিনের পর দিন একরকম থাকে, তবে সেটিকে স্থিতিশীল সিস্টেম ধরা যায় এবং তখন উপরের সমীকরণটি ব্যবহারযোগ্য ও বৈধ।
==মন্তব্য==
<references />
*[http://wikis.controltheorypro.com/index.php?title=Frequency_Domain_Modeling উদাহরন সহ সিস্টেম মডেলিং -এর ব্যাখ্যা]
==মডেলিং উদাহরণ==
নিয়ন্ত্রন ব্যাবস্থায় মডেলিং প্রায়শই বিচার-বিবেচনার বিষয়।অন্যদের তৈরী মডেল থেকে শেখার মাধ্যমে অনেক কিছু জানা যায়। কিছু সাইট যেখানে অনেক উদাহরণ রয়েছে। এখানে কয়েকটির লিঙ্ক দেওয়া হল।
* [https://web.archive.org/web/20121214093707/http://wikis.controltheorypro.com/index.php?title=Helicopter_Hover_Example হেলিকপ্টারের উদাহরণ]
* [https://web.archive.org/web/20160325175552/wikis.controltheorypro.com/index.php?title=Reaction_Cancellation_Example বিক্রিয়া টর্ক]
* [https://web.archive.org/web/20150919081842/http://wikis.controltheorypro.com/index.php?title=Category:Examples কন্ট্রোলথেরাপি প্রো ডট কম-এ সকল উদাহরণের তালিকা]
==উৎপাদন==
সঠিকভাবে সিস্টেমটির নকশা প্রস্তুত করা হয়ে গেলে আমরা আমাদের সিস্টেমটির একতি প্রাথমিক মডেল তৈরি করতে পারি এবং এটি পরীক্ষা করতে পারি। ধরে নিই যে আমাদের বিশ্লেষণ সঠিক ছিল এবং আমাদের নকশাটি ভাল, প্প্রাথমিক মডেল প্রত্যাশা অনুযায়ী কাজ করবে। এখন আমরা আমাদের সিস্টেমগুলি বাস্তবে তৈরি করার লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে পারি।
{{Control Systems/Nav|নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/সিস্টেম মেট্রিক্স| নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/রূপান্তর}}
fllntg8noqzs16fhbrqaptxztnk24cd
84784
84783
2025-06-18T07:31:06Z
RDasgupta2020
8748
/* অভ্যন্তরীণ বর্ণনা */
84784
wikitext
text/x-wiki
{{Control Systems/Page|নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/সিস্টেম মেট্রিক্স| নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/রূপান্তর}}
==নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়া==
একজন নিয়ন্ত্রন ব্যাবস্থা প্রকৌশলীর কাজ হলো বিদ্যমান সিস্টেম বিশ্লেষণ করা এবং নির্দিষ্ট চাহিদা পূরণের জন্য নতুন সিস্টেমের নকশা প্রস্তুত করা। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে প্রায়শই বিদ্যমান সিস্টেম বা ব্যাবস্থার কর্মক্ষমতা উন্নত করার জন্য সিস্টেমের একটি নিয়ন্ত্রনকারী একক যন্ত্রাংশ (কন্ট্রোল ইউনিট) -এর নকশা প্রস্তুত করার প্রয়োজন হয়। তবে কখনো কখনো সম্পূর্ন যান্ত্রিক সিস্টেমেরই নকশা প্রস্তুত করার প্রয়োজন হয়ে পরে। একটি সিস্টেমের নকশা প্রস্তুত করার সময়, অথবা একটি বিদ্যমান সিস্টেমকে উন্নত করার জন্য একটি নিয়ন্ত্রক প্রস্তুতির সময় কিছু মৌলিক পদক্ষেপ অনুসরণ করতে হয়, যেগুলি সিস্টেমের মানদন্ড বজায় রাখার জন্য অত্যন্ত জরুরী। এই মৌলিক পদক্ষেপগুলি সম্পর্কে নিম্নে আলোচনা করা হয়েছে:
#প্রথমে গাণিতিকভাবে সিস্টেমটির নকশা বা মডেল তৈরি করঅতে হয়।
#এরপর গাণিতিক মডেল বা নকশার বিশ্লেষণ করা আবশ্যক।
#সিস্টেম/নিয়ন্ত্রক(কন্ট্রোলার) -এর জন্য প্রথম তার নকশা প্রস্তুত করতে হয়।
#এবার সেই নকশার উপর ভিত্তি করে সিস্টেম/নিয়ন্ত্রকটি বাস্তবে তৈরী করা হয় এবং তারপর তার কার্যকারিতা পরীক্ষা করা হয়।
এই বইয়ের বেশিরভাগ অংশই উপরিউক্ত নির্দেশ তালিকার মধযে দ্বিতীয় ধাপ অর্থাৎ গাণিতিক পদ্ধতির বিশ্লেষণের উপর কেন্দ্রীভূত হবে। এই অধ্যাইয়ে শুধুমাত্র সিস্টেমগুলির গাণিতিক মডেল প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনার করা হবে।
==বাহ্যিক বর্ণনা==
একটি সিস্টেমের পূর্ণ অবয়ব সংক্ষেপে বর্ণনা করার সময় সিস্টেমের নিবেশিত অংশ বা ইনপুটের সাথে সিস্টেমের বাহ্যিক অংশ বা আউটপুটের সম্পর্ক প্রদর্শিত করা হয়, কিন্তু এক্ষেত্রে সিস্টেমের অভ্যন্তরীণ কার্যকারিতা ও অন্যান্য জটিল বিষয় সম্পর্কে কোন সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা দেওয়া হয়না। একটি সিস্টেমের বাহ্যিক বর্ণনাকে কখনও কখনও সিস্টেমের ইনপুট-আউটপুট বর্ণনাও বলা হয় , কারণ এতে কেবলমাত্র সিস্টেমের ইনপুট এবং আউটপুটের উপরই মনোনিবেশ করা হয়।
[[Image:Time-Domain Transfer Block.svg|center]]
যদি সিস্টেমটিকে একতি গাণিতিক ফাংশন ''h(t, r)'' -এর মাধ্যমে প্রকাশ করা যায় যেখানে ''t'' সময়ে সিস্টেম থেকে আউটপুট বা কাঙ্খিত ফলাফল পাওয়া যায় এবং ''r'' হল সেই সময় যখন সিস্টেমে নিবেশিত মান বা ইনপুট প্রয়োগ করা হয়েছে, তাহলে সিস্টেম ফাংশন ''h(t, r)'' -এর সাথে ইনপুট মান ''x'' এবং আউটপুট মান ''y'' -এর সম্পর্ক নিম্নলিখিত সমাকলনের মাধ্যমে প্রকাশ করা যায়:
{{eqn|সাধারণ সিস্টেমের বর্ণনা}}
:<math>y(t) = \int_{-\infty}^\infty h(t, r)x(r)dr</math>
এই সমীকরনের মাধ্যমে সমস্ত রৈখিক সিস্টেমের বর্ণনা করা যায়।
যদি সিস্টেমে ''t=r'' সময়ে প্রয়োগীকৃত নিবেশ বা ইনপুট সংকেত সিস্টেমের কার্যকারিতাকে একমাত্র তখনই প্রভাবিত করতে পারে যখন, <math>t \ge r</math> এবং ''t=0'' সময়ের পূর্বে যদি সিস্টেমে কোন প্রকার ইনপুট প্রয়োগ না করা হয়, তাহলে আমরা উপরের সমাকলনের সীমাতি নিম্নরূপে পরিবর্তিত করতে পারি:
:<math>y(t) = \int_0^t h(t, r)x(r)dr</math>
===সময় নিরপেক্ষ ব্যাবস্থা===
যদি কোনও সিস্টেম বা ব্যাবস্থা সময় নিরপেক্ষ হয়, তাহলে আমরা সিস্টেম বর্ণনা সমীকরণটি নিম্নরূপে পুনর্লিখন করতে পারি:
:<math>y(t) = \int_0^t h(t - r)x(r)dr</math>
এই সমীকরণটি কনভোল্যুশন সমাকলন নামে পরিচিত , এবং আমরা পরবর্তী অধ্যায়ে এটি সম্পর্কে আরও আলোচনা করব।
প্রত্যেক সময়-নিরপেক্ষ রৈখিক সিস্টেম (এলটিআই) -কে '''ল্যাপ্লেস রুপান্তরন''', নামক গাণিতিক মডেলের মাধ্যমে সংজ্ঞায়িত করা যায়। এই বহু ব্যাবহৃত গানিতিক মডেলের মাধ্যমে কোন সময় নির্ভর সিস্টেমের গাণিতিক মডেলকে কম্পাঙ্ক নির্ভর ক্ষেত্র বা ফ্রিকোয়েন্সি ডোমেইন -এ পরিবর্তিত করা যায় (ল্যাপ্লেস রূপান্তরনে ফ্রিকোয়েন্সি ডোমেইনকে এস-ডোমেইন বলা হয়), যার ফলে অনেক সমীকরনের সমাধান অত্যন্ত সহজ হয়। সময় নিরপেক্ষ সিস্টেমের ক্ষেত্রে ল্যাপ্লেস রুপান্তরন ব্যাবহার করা যায়না।
==অভ্যন্তরীণ বর্ণনা==
যদি কোনো সিস্টেম রৈখিক এবং সমাকীর্ণ (লাম্পড) হয়, তাহলে সেটিকে একটি সমীকরণ-ভিত্তিক ব্যবস্থায় বর্ণনা করা যায়, যাকে বলা হয় '''অবস্থান সমীকরন''' অথবা '''স্টেট-স্পেস সমীকরণ'''। স্টেট-স্পেস সমীকরণে আমরা সিস্টেমের অভ্যন্তরীণ অবস্থা বোঝাতে চলরাশি ''x'' ব্যবহার করি। সিস্টেমে ইনপুট বা নিবেশিত মান বোঝাতে ''u'' এবং সিস্টেমের আউটপুট বা ফলাফল বোঝাতে ''y'' ব্যবহার করা হয়। আমরা স্টেট-স্পেস সমীকরণগুলোকে নিম্নরূপে প্রকাশ করতে পারি:
:<math>x'(t) = A(t)x(t) + B(t)u(t)</math>
:<math>y(t) = C(t)x(t) + D(t)u(t)</math>
আধুনিক নিয়ন্ত্রন ব্যাবস্থার আলোচনার সময় আমরা স্টেট-স্পেস সমীকরনের ব্যাপারে বিশদে আলোচনা করব।
==জটিল বর্ণনা==
সময়-নিরপেক্ষ রৈখিক সিস্টেম এবং সমাকীর্ণ সিস্টেমসমূহকে স্টেট-স্পেস সমীকরণ এবং ল্যাপ্লেস রুপান্তরনের সংমিশ্রণ ব্যবহার করেও বর্ণনা করা যেতে পারে। যদি আমরা উপরে তালিকাভুক্ত স্টেট-স্পেস সমীকরণগুলির ল্যাপ্লেস রূপান্তরন নির্ধারণ করি, তাহলে আমরা রূপান্তরন ম্যাট্রিক্স (ট্রান্সফার ম্যাট্রিক্স) ফাংশন নামে পরিচিত ফাংশনের একটি সেট পেতে পারি। আমরা পরবর্তী অধ্যায়ে এই ফাংশনগুলি নিয়ে আলোচনা করব।
==উপস্থাপনা==
নিম্নের তালিকায় বিভিন্ন সিস্টেম বা ব্যাবস্থার বৈশিষ্ট্য এবং তাদের বিশ্লেশষনের জন্য বযাবহৃত একাধিক গাণিতিক মডেল সম্পর্কে বর্ণনা করা হয়েছে:
:{| class="wikitable"
|-
!বৈশিষ্ট্য !! স্টেট-স্পেস<br>সমীকরন !! ল্যাপ্লেস<br> রূপান্তর !! রূপান্তরন<br>ম্যাট্রিক্স
|-
|রৈখিক, সময়-সাপেক্ষ, বিন্যাস্ত || না || না || না
|-
|রৈখিক, সময়-সাপেক্, সমাকীর্ণ || হ্যাঁ || না || না
|-
|রৈখিক, সময়-নিরপেক্ষ, বিন্যাস্ত || না || হ্যাঁ || না
|-
|রৈখিক, সময়-নিরপেক্ষ, সমাকীর্ণ || হ্যাঁ || হ্যাঁ || হ্যাঁ
|}
আমরা পরের অধ্যায়ে এইরূপ নানা রকম সিস্টেমের উপস্থাপনা সম্পর্কে আলোচনা করব।
==বিশ্লেষণ==
উপরে তালিকাভুক্ত উপস্থাপনাগুলির যেকোন একটি ব্যবহার করে কোনো সিস্টেমের প্রাথমিক নকশা প্রস্তুত করা হলে, প্রথমে সেই সিস্টেমের বিশ্লেষণ প্রয়োজন। আমরা সিস্টেমের বিভিন্ন পরিমাপক নির্ধারণ করতে পারি এবং তারপর সেই পরিমাপগুলিকে আমাদের নির্ধারিত মানদন্ডের সঙ্গে তুলনা করতে পারি। যদি সিস্টেমটি সেই মানদন্ডগুলি পূরণ করে, তাহলে সিস্টেমের নকশা প্রস্তুত করার প্রক্রিয়া শেষ। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সিস্টেমটি নির্ধারিত মানদন্ড পূরণ করে না। সেই ক্ষেত্রে উপযুক্ত যান্ত্রিক নিয়ন্ত্রক (কন্ট্রোলার) এবং যান্ত্রিক ক্ষতিপূরনকারী (কম্পেনসেটর) -এর নকশা প্রস্তুত করে সিস্টেমে যুক্ত করতে হয়।
কিন্তু কন্ট্রোলার এবং কম্পেনসেটর ডিজাইন করলেই কাজ শেষ হয়ে যায় না — নতুনভাবে তৈরি করা সম্মিলিত সিস্টেমটিকে বিশ্লেষণ করতে হয়, যাতে নিশ্চিত হওয়া যায় যে নতুন যুক্ত যন্ত্রাংশগুলি ঠিকভাবে কাজ করছে। পাশাপাশি, আমাদের নিশ্চিত করতে হয় যে সিস্টেমটি স্থিতিশীল আছে — কারণ, অস্থিতিশীল সিস্টেম বিপজ্জনক হতে পারে।
===কম্পাঙ্কের সাপেক্ষে বিশ্লেষণ===
সিস্টেমের প্রাথমিক ডিজাইন বা দ্রুত বিশ্লেষণের ক্ষেত্রে ফ্রিকোয়েন্সি ডোমেইন বা কম্পাঙ্কের সাপেক্ষে বিশ্লেষণ, সময় এককের সাপেক্ষে বিশ্লেষণের থেকে সহজ ও কার্যকর হয়। কম্পাঙ্কের সাপেক্ষে বিশ্লেষণের প্রক্রিয়ায় সিস্টেমে উৎপন্ন অস্থিতার শক্তি বিভাজনকে (পাওয়ার স্পেক্ট্রাল ডেনসিটি বা পিএসডি) সরাসরি ব্যবহার করা যায়, ট্রান্সফার ফাংশনও সরাসরি প্রয়োগ করা যায়, এবং এর ফলাফলও সহজে পাওয়া যায়। এই বিশ্লেষণে যে আউটপুট বা ফলাফল পাওয়া যায় তা সাধারণত সময়ের সাপেক্ষে স্থিতিশীল থাকে (স্টেডি-স্টেট রেসপন্স) হয়। সিস্টেমের সাথে যুক্ত অনেক যান্ত্রিক নিয়ন্ত্রকই আউটপুটের মান শূন্যে নামিয়ে আনতে চেষ্টা করে। তাই এই স্টেডি-স্টেট রেসপন্স আসলে সিস্টেমের একটি চূড়ান্ত ত্রুটি যা বিশ্লেষণের চূড়ান্ত ফলাফল বা মানদন্ড হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
<div align="center">
{| style="width:600px; background:transparent; font-size:120%" align="center" border="5"
|+ '''সারনী ১: কম্পাঙ্কের সাপেক্ষে প্রস্তাবিত ইনপুট এবং আউটপুট'''
! ইনপুট !! প্রস্তাবনা !! আউটপুট
|- style="background:transparent; color:#C00000;" align="center"
| পিএসডি
| স্থানান্তর ফাংশন
| পিএসডি
|}
</div>
====গণিতের সংক্ষিপ্ত বিবরণ====
ফ্রিকোয়েন্সি ডোমাইন বা কম্পাঙ্ক সাপেক্ষে সিস্টেমের বিশ্লেষণ হল এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে সিস্টেমের স্পন্দন প্রতিক্রিয়া বা ইমপালস রেসপন্স নির্ধারণ করা যায়।
[[Image:FreqDomainBlocks.png|thumb|center|500px|চিত্র ১: ফ্রিকোয়েন্সি ডোমেন সিস্টেম]]
:<math>S_{YY}\left(\omega\right)=G^*\left(\omega\right)G\left(\omega\right)S_{XX}= \left | G\left(\omega\right)\right \vert S_{XX}</math><ref>Sun, Jian-Qiao (2006). ''Stochastic Dynamics and Control, Volume 4''. Amsterdam: Elsevier Science. {{ISBN|0444522301}}.</ref>
যেখানে,
::<math>S_{XX}\left(\omega\right)</math> হল সিস্টেমের অস্থিতার শক্তি বিভাজন বা পিএসডি, যার একক <math>\frac{magnitude^2}{Hz}</math>
::<math>G\left(\omega\right)</math> হল সিস্টেমের ফাংশন যা কম্পাঙ্ক ক্ষেত্রে পরিবর্তিত হয়েছে। একে ফ্রিকোয়েন্সি রেসপন্স ফাংশনও বলে
::<math>S_{YY}\left(\omega\right)</math> আউটপুট ফাংশনের পিএসডি।
ফ্রিকোয়েন্সি রেসপন্স ফাংশন, <math>G\left(\omega\right)</math>, সিস্টেমের রূপান্তরন ফাংশনের সাথে সম্পর্কিত।
বিভিন্ন বইয়ে এ নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন মত পাওয়া যায়। কিছু বই বলে, উপরোক্ত সমীকরণ কেবলমাত্র স্থিতিশীল লক্ষ্যবিহীন (র্যান্ডম) প্রক্রিয়ার জন্যই প্রযোজ্য। অন্য কিছু বইতে অন্যান্য কিছু প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে উপরের সমীকরণ প্রযোজ্যতার কথা বলে উল্লেখ করা হয়েছে। কিছু বইতে আবার কঠোরভাবে স্থিতিশীল (সমস্ত ক্রমের গাণিতিক গড় অপরিবর্তিত) এবং দুর্বল স্থিতিশীল সিস্টেমের মধ্যে কোনো পার্থক্য করে না তবে বাস্তব ক্ষেত্রে সাধারণভাবে যা ধরা হয়, তা হলো: যদি সিস্টেমের ইনপুট সিগন্যালের শক্তি বিভাজন বা পি এস ডি ঘণ্টার পর ঘণ্টা বা দিনের পর দিন একরকম থাকে, তবে সেটিকে স্থিতিশীল সিস্টেম ধরা যায় এবং তখন উপরের সমীকরণটি ব্যবহারযোগ্য ও বৈধ।
==মন্তব্য==
<references />
*[http://wikis.controltheorypro.com/index.php?title=Frequency_Domain_Modeling উদাহরন সহ সিস্টেম মডেলিং -এর ব্যাখ্যা]
==মডেলিং উদাহরণ==
নিয়ন্ত্রন ব্যাবস্থায় মডেলিং প্রায়শই বিচার-বিবেচনার বিষয়।অন্যদের তৈরী মডেল থেকে শেখার মাধ্যমে অনেক কিছু জানা যায়। কিছু সাইট যেখানে অনেক উদাহরণ রয়েছে। এখানে কয়েকটির লিঙ্ক দেওয়া হল।
* [https://web.archive.org/web/20121214093707/http://wikis.controltheorypro.com/index.php?title=Helicopter_Hover_Example হেলিকপ্টারের উদাহরণ]
* [https://web.archive.org/web/20160325175552/wikis.controltheorypro.com/index.php?title=Reaction_Cancellation_Example বিক্রিয়া টর্ক]
* [https://web.archive.org/web/20150919081842/http://wikis.controltheorypro.com/index.php?title=Category:Examples কন্ট্রোলথেরাপি প্রো ডট কম-এ সকল উদাহরণের তালিকা]
==উৎপাদন==
সঠিকভাবে সিস্টেমটির নকশা প্রস্তুত করা হয়ে গেলে আমরা আমাদের সিস্টেমটির একতি প্রাথমিক মডেল তৈরি করতে পারি এবং এটি পরীক্ষা করতে পারি। ধরে নিই যে আমাদের বিশ্লেষণ সঠিক ছিল এবং আমাদের নকশাটি ভাল, প্প্রাথমিক মডেল প্রত্যাশা অনুযায়ী কাজ করবে। এখন আমরা আমাদের সিস্টেমগুলি বাস্তবে তৈরি করার লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে পারি।
{{Control Systems/Nav|নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/সিস্টেম মেট্রিক্স| নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/রূপান্তর}}
hclxf316zqcf54nsbziqocv7j31trl1
84786
84784
2025-06-18T07:34:07Z
RDasgupta2020
8748
/* মডেলিং উদাহরণ */
84786
wikitext
text/x-wiki
{{Control Systems/Page|নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/সিস্টেম মেট্রিক্স| নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/রূপান্তর}}
==নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়া==
একজন নিয়ন্ত্রন ব্যাবস্থা প্রকৌশলীর কাজ হলো বিদ্যমান সিস্টেম বিশ্লেষণ করা এবং নির্দিষ্ট চাহিদা পূরণের জন্য নতুন সিস্টেমের নকশা প্রস্তুত করা। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে প্রায়শই বিদ্যমান সিস্টেম বা ব্যাবস্থার কর্মক্ষমতা উন্নত করার জন্য সিস্টেমের একটি নিয়ন্ত্রনকারী একক যন্ত্রাংশ (কন্ট্রোল ইউনিট) -এর নকশা প্রস্তুত করার প্রয়োজন হয়। তবে কখনো কখনো সম্পূর্ন যান্ত্রিক সিস্টেমেরই নকশা প্রস্তুত করার প্রয়োজন হয়ে পরে। একটি সিস্টেমের নকশা প্রস্তুত করার সময়, অথবা একটি বিদ্যমান সিস্টেমকে উন্নত করার জন্য একটি নিয়ন্ত্রক প্রস্তুতির সময় কিছু মৌলিক পদক্ষেপ অনুসরণ করতে হয়, যেগুলি সিস্টেমের মানদন্ড বজায় রাখার জন্য অত্যন্ত জরুরী। এই মৌলিক পদক্ষেপগুলি সম্পর্কে নিম্নে আলোচনা করা হয়েছে:
#প্রথমে গাণিতিকভাবে সিস্টেমটির নকশা বা মডেল তৈরি করঅতে হয়।
#এরপর গাণিতিক মডেল বা নকশার বিশ্লেষণ করা আবশ্যক।
#সিস্টেম/নিয়ন্ত্রক(কন্ট্রোলার) -এর জন্য প্রথম তার নকশা প্রস্তুত করতে হয়।
#এবার সেই নকশার উপর ভিত্তি করে সিস্টেম/নিয়ন্ত্রকটি বাস্তবে তৈরী করা হয় এবং তারপর তার কার্যকারিতা পরীক্ষা করা হয়।
এই বইয়ের বেশিরভাগ অংশই উপরিউক্ত নির্দেশ তালিকার মধযে দ্বিতীয় ধাপ অর্থাৎ গাণিতিক পদ্ধতির বিশ্লেষণের উপর কেন্দ্রীভূত হবে। এই অধ্যাইয়ে শুধুমাত্র সিস্টেমগুলির গাণিতিক মডেল প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনার করা হবে।
==বাহ্যিক বর্ণনা==
একটি সিস্টেমের পূর্ণ অবয়ব সংক্ষেপে বর্ণনা করার সময় সিস্টেমের নিবেশিত অংশ বা ইনপুটের সাথে সিস্টেমের বাহ্যিক অংশ বা আউটপুটের সম্পর্ক প্রদর্শিত করা হয়, কিন্তু এক্ষেত্রে সিস্টেমের অভ্যন্তরীণ কার্যকারিতা ও অন্যান্য জটিল বিষয় সম্পর্কে কোন সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা দেওয়া হয়না। একটি সিস্টেমের বাহ্যিক বর্ণনাকে কখনও কখনও সিস্টেমের ইনপুট-আউটপুট বর্ণনাও বলা হয় , কারণ এতে কেবলমাত্র সিস্টেমের ইনপুট এবং আউটপুটের উপরই মনোনিবেশ করা হয়।
[[Image:Time-Domain Transfer Block.svg|center]]
যদি সিস্টেমটিকে একতি গাণিতিক ফাংশন ''h(t, r)'' -এর মাধ্যমে প্রকাশ করা যায় যেখানে ''t'' সময়ে সিস্টেম থেকে আউটপুট বা কাঙ্খিত ফলাফল পাওয়া যায় এবং ''r'' হল সেই সময় যখন সিস্টেমে নিবেশিত মান বা ইনপুট প্রয়োগ করা হয়েছে, তাহলে সিস্টেম ফাংশন ''h(t, r)'' -এর সাথে ইনপুট মান ''x'' এবং আউটপুট মান ''y'' -এর সম্পর্ক নিম্নলিখিত সমাকলনের মাধ্যমে প্রকাশ করা যায়:
{{eqn|সাধারণ সিস্টেমের বর্ণনা}}
:<math>y(t) = \int_{-\infty}^\infty h(t, r)x(r)dr</math>
এই সমীকরনের মাধ্যমে সমস্ত রৈখিক সিস্টেমের বর্ণনা করা যায়।
যদি সিস্টেমে ''t=r'' সময়ে প্রয়োগীকৃত নিবেশ বা ইনপুট সংকেত সিস্টেমের কার্যকারিতাকে একমাত্র তখনই প্রভাবিত করতে পারে যখন, <math>t \ge r</math> এবং ''t=0'' সময়ের পূর্বে যদি সিস্টেমে কোন প্রকার ইনপুট প্রয়োগ না করা হয়, তাহলে আমরা উপরের সমাকলনের সীমাতি নিম্নরূপে পরিবর্তিত করতে পারি:
:<math>y(t) = \int_0^t h(t, r)x(r)dr</math>
===সময় নিরপেক্ষ ব্যাবস্থা===
যদি কোনও সিস্টেম বা ব্যাবস্থা সময় নিরপেক্ষ হয়, তাহলে আমরা সিস্টেম বর্ণনা সমীকরণটি নিম্নরূপে পুনর্লিখন করতে পারি:
:<math>y(t) = \int_0^t h(t - r)x(r)dr</math>
এই সমীকরণটি কনভোল্যুশন সমাকলন নামে পরিচিত , এবং আমরা পরবর্তী অধ্যায়ে এটি সম্পর্কে আরও আলোচনা করব।
প্রত্যেক সময়-নিরপেক্ষ রৈখিক সিস্টেম (এলটিআই) -কে '''ল্যাপ্লেস রুপান্তরন''', নামক গাণিতিক মডেলের মাধ্যমে সংজ্ঞায়িত করা যায়। এই বহু ব্যাবহৃত গানিতিক মডেলের মাধ্যমে কোন সময় নির্ভর সিস্টেমের গাণিতিক মডেলকে কম্পাঙ্ক নির্ভর ক্ষেত্র বা ফ্রিকোয়েন্সি ডোমেইন -এ পরিবর্তিত করা যায় (ল্যাপ্লেস রূপান্তরনে ফ্রিকোয়েন্সি ডোমেইনকে এস-ডোমেইন বলা হয়), যার ফলে অনেক সমীকরনের সমাধান অত্যন্ত সহজ হয়। সময় নিরপেক্ষ সিস্টেমের ক্ষেত্রে ল্যাপ্লেস রুপান্তরন ব্যাবহার করা যায়না।
==অভ্যন্তরীণ বর্ণনা==
যদি কোনো সিস্টেম রৈখিক এবং সমাকীর্ণ (লাম্পড) হয়, তাহলে সেটিকে একটি সমীকরণ-ভিত্তিক ব্যবস্থায় বর্ণনা করা যায়, যাকে বলা হয় '''অবস্থান সমীকরন''' অথবা '''স্টেট-স্পেস সমীকরণ'''। স্টেট-স্পেস সমীকরণে আমরা সিস্টেমের অভ্যন্তরীণ অবস্থা বোঝাতে চলরাশি ''x'' ব্যবহার করি। সিস্টেমে ইনপুট বা নিবেশিত মান বোঝাতে ''u'' এবং সিস্টেমের আউটপুট বা ফলাফল বোঝাতে ''y'' ব্যবহার করা হয়। আমরা স্টেট-স্পেস সমীকরণগুলোকে নিম্নরূপে প্রকাশ করতে পারি:
:<math>x'(t) = A(t)x(t) + B(t)u(t)</math>
:<math>y(t) = C(t)x(t) + D(t)u(t)</math>
আধুনিক নিয়ন্ত্রন ব্যাবস্থার আলোচনার সময় আমরা স্টেট-স্পেস সমীকরনের ব্যাপারে বিশদে আলোচনা করব।
==জটিল বর্ণনা==
সময়-নিরপেক্ষ রৈখিক সিস্টেম এবং সমাকীর্ণ সিস্টেমসমূহকে স্টেট-স্পেস সমীকরণ এবং ল্যাপ্লেস রুপান্তরনের সংমিশ্রণ ব্যবহার করেও বর্ণনা করা যেতে পারে। যদি আমরা উপরে তালিকাভুক্ত স্টেট-স্পেস সমীকরণগুলির ল্যাপ্লেস রূপান্তরন নির্ধারণ করি, তাহলে আমরা রূপান্তরন ম্যাট্রিক্স (ট্রান্সফার ম্যাট্রিক্স) ফাংশন নামে পরিচিত ফাংশনের একটি সেট পেতে পারি। আমরা পরবর্তী অধ্যায়ে এই ফাংশনগুলি নিয়ে আলোচনা করব।
==উপস্থাপনা==
নিম্নের তালিকায় বিভিন্ন সিস্টেম বা ব্যাবস্থার বৈশিষ্ট্য এবং তাদের বিশ্লেশষনের জন্য বযাবহৃত একাধিক গাণিতিক মডেল সম্পর্কে বর্ণনা করা হয়েছে:
:{| class="wikitable"
|-
!বৈশিষ্ট্য !! স্টেট-স্পেস<br>সমীকরন !! ল্যাপ্লেস<br> রূপান্তর !! রূপান্তরন<br>ম্যাট্রিক্স
|-
|রৈখিক, সময়-সাপেক্ষ, বিন্যাস্ত || না || না || না
|-
|রৈখিক, সময়-সাপেক্, সমাকীর্ণ || হ্যাঁ || না || না
|-
|রৈখিক, সময়-নিরপেক্ষ, বিন্যাস্ত || না || হ্যাঁ || না
|-
|রৈখিক, সময়-নিরপেক্ষ, সমাকীর্ণ || হ্যাঁ || হ্যাঁ || হ্যাঁ
|}
আমরা পরের অধ্যায়ে এইরূপ নানা রকম সিস্টেমের উপস্থাপনা সম্পর্কে আলোচনা করব।
==বিশ্লেষণ==
উপরে তালিকাভুক্ত উপস্থাপনাগুলির যেকোন একটি ব্যবহার করে কোনো সিস্টেমের প্রাথমিক নকশা প্রস্তুত করা হলে, প্রথমে সেই সিস্টেমের বিশ্লেষণ প্রয়োজন। আমরা সিস্টেমের বিভিন্ন পরিমাপক নির্ধারণ করতে পারি এবং তারপর সেই পরিমাপগুলিকে আমাদের নির্ধারিত মানদন্ডের সঙ্গে তুলনা করতে পারি। যদি সিস্টেমটি সেই মানদন্ডগুলি পূরণ করে, তাহলে সিস্টেমের নকশা প্রস্তুত করার প্রক্রিয়া শেষ। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সিস্টেমটি নির্ধারিত মানদন্ড পূরণ করে না। সেই ক্ষেত্রে উপযুক্ত যান্ত্রিক নিয়ন্ত্রক (কন্ট্রোলার) এবং যান্ত্রিক ক্ষতিপূরনকারী (কম্পেনসেটর) -এর নকশা প্রস্তুত করে সিস্টেমে যুক্ত করতে হয়।
কিন্তু কন্ট্রোলার এবং কম্পেনসেটর ডিজাইন করলেই কাজ শেষ হয়ে যায় না — নতুনভাবে তৈরি করা সম্মিলিত সিস্টেমটিকে বিশ্লেষণ করতে হয়, যাতে নিশ্চিত হওয়া যায় যে নতুন যুক্ত যন্ত্রাংশগুলি ঠিকভাবে কাজ করছে। পাশাপাশি, আমাদের নিশ্চিত করতে হয় যে সিস্টেমটি স্থিতিশীল আছে — কারণ, অস্থিতিশীল সিস্টেম বিপজ্জনক হতে পারে।
===কম্পাঙ্কের সাপেক্ষে বিশ্লেষণ===
সিস্টেমের প্রাথমিক ডিজাইন বা দ্রুত বিশ্লেষণের ক্ষেত্রে ফ্রিকোয়েন্সি ডোমেইন বা কম্পাঙ্কের সাপেক্ষে বিশ্লেষণ, সময় এককের সাপেক্ষে বিশ্লেষণের থেকে সহজ ও কার্যকর হয়। কম্পাঙ্কের সাপেক্ষে বিশ্লেষণের প্রক্রিয়ায় সিস্টেমে উৎপন্ন অস্থিতার শক্তি বিভাজনকে (পাওয়ার স্পেক্ট্রাল ডেনসিটি বা পিএসডি) সরাসরি ব্যবহার করা যায়, ট্রান্সফার ফাংশনও সরাসরি প্রয়োগ করা যায়, এবং এর ফলাফলও সহজে পাওয়া যায়। এই বিশ্লেষণে যে আউটপুট বা ফলাফল পাওয়া যায় তা সাধারণত সময়ের সাপেক্ষে স্থিতিশীল থাকে (স্টেডি-স্টেট রেসপন্স) হয়। সিস্টেমের সাথে যুক্ত অনেক যান্ত্রিক নিয়ন্ত্রকই আউটপুটের মান শূন্যে নামিয়ে আনতে চেষ্টা করে। তাই এই স্টেডি-স্টেট রেসপন্স আসলে সিস্টেমের একটি চূড়ান্ত ত্রুটি যা বিশ্লেষণের চূড়ান্ত ফলাফল বা মানদন্ড হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
<div align="center">
{| style="width:600px; background:transparent; font-size:120%" align="center" border="5"
|+ '''সারনী ১: কম্পাঙ্কের সাপেক্ষে প্রস্তাবিত ইনপুট এবং আউটপুট'''
! ইনপুট !! প্রস্তাবনা !! আউটপুট
|- style="background:transparent; color:#C00000;" align="center"
| পিএসডি
| স্থানান্তর ফাংশন
| পিএসডি
|}
</div>
====গণিতের সংক্ষিপ্ত বিবরণ====
ফ্রিকোয়েন্সি ডোমাইন বা কম্পাঙ্ক সাপেক্ষে সিস্টেমের বিশ্লেষণ হল এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে সিস্টেমের স্পন্দন প্রতিক্রিয়া বা ইমপালস রেসপন্স নির্ধারণ করা যায়।
[[Image:FreqDomainBlocks.png|thumb|center|500px|চিত্র ১: ফ্রিকোয়েন্সি ডোমেন সিস্টেম]]
:<math>S_{YY}\left(\omega\right)=G^*\left(\omega\right)G\left(\omega\right)S_{XX}= \left | G\left(\omega\right)\right \vert S_{XX}</math><ref>Sun, Jian-Qiao (2006). ''Stochastic Dynamics and Control, Volume 4''. Amsterdam: Elsevier Science. {{ISBN|0444522301}}.</ref>
যেখানে,
::<math>S_{XX}\left(\omega\right)</math> হল সিস্টেমের অস্থিতার শক্তি বিভাজন বা পিএসডি, যার একক <math>\frac{magnitude^2}{Hz}</math>
::<math>G\left(\omega\right)</math> হল সিস্টেমের ফাংশন যা কম্পাঙ্ক ক্ষেত্রে পরিবর্তিত হয়েছে। একে ফ্রিকোয়েন্সি রেসপন্স ফাংশনও বলে
::<math>S_{YY}\left(\omega\right)</math> আউটপুট ফাংশনের পিএসডি।
ফ্রিকোয়েন্সি রেসপন্স ফাংশন, <math>G\left(\omega\right)</math>, সিস্টেমের রূপান্তরন ফাংশনের সাথে সম্পর্কিত।
বিভিন্ন বইয়ে এ নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন মত পাওয়া যায়। কিছু বই বলে, উপরোক্ত সমীকরণ কেবলমাত্র স্থিতিশীল লক্ষ্যবিহীন (র্যান্ডম) প্রক্রিয়ার জন্যই প্রযোজ্য। অন্য কিছু বইতে অন্যান্য কিছু প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে উপরের সমীকরণ প্রযোজ্যতার কথা বলে উল্লেখ করা হয়েছে। কিছু বইতে আবার কঠোরভাবে স্থিতিশীল (সমস্ত ক্রমের গাণিতিক গড় অপরিবর্তিত) এবং দুর্বল স্থিতিশীল সিস্টেমের মধ্যে কোনো পার্থক্য করে না তবে বাস্তব ক্ষেত্রে সাধারণভাবে যা ধরা হয়, তা হলো: যদি সিস্টেমের ইনপুট সিগন্যালের শক্তি বিভাজন বা পি এস ডি ঘণ্টার পর ঘণ্টা বা দিনের পর দিন একরকম থাকে, তবে সেটিকে স্থিতিশীল সিস্টেম ধরা যায় এবং তখন উপরের সমীকরণটি ব্যবহারযোগ্য ও বৈধ।
==মন্তব্য==
<references />
*[http://wikis.controltheorypro.com/index.php?title=Frequency_Domain_Modeling উদাহরন সহ সিস্টেম মডেলিং -এর ব্যাখ্যা]
==নকশা প্রস্তুতকরনের উদাহরণ==
নিয়ন্ত্রন ব্যাবস্থায় সিস্টেম মডেলিং একটি বিশদ বিচার-বিবেচনার বিষয়। এই বিষয়ে বাস্তবিক জ্ঞান অর্জনের জন্ শুধু লিখিত তথ্য নয় বরং অন্যদের তৈরী সিস্টেম বা যান্ত্রিক মডেল ভালোভাবে পর্যবেক্ষন করা উচিত, তাহলে অনেক কিছু জানা যায়। কিছু সাইট যেখান সিস্টেম মডেলিং বা নকশা প্রস্তুতকরনের অনেক উদাহরণ রয়েছে। এখানে কয়েকটির লিঙ্ক দেওয়া হল।
* [https://web.archive.org/web/20121214093707/http://wikis.controltheorypro.com/index.php?title=Helicopter_Hover_Example হেলিকপ্টারের উদাহরণ]
* [https://web.archive.org/web/20160325175552/wikis.controltheorypro.com/index.php?title=Reaction_Cancellation_Example বিক্রিয়া টর্ক]
* [https://web.archive.org/web/20150919081842/http://wikis.controltheorypro.com/index.php?title=Category:Examples কন্ট্রোলথেরাপি প্রো ডট কম-এ সকল উদাহরণের তালিকা]
==উৎপাদন==
সঠিকভাবে সিস্টেমটির নকশা প্রস্তুত করা হয়ে গেলে আমরা আমাদের সিস্টেমটির একতি প্রাথমিক মডেল তৈরি করতে পারি এবং এটি পরীক্ষা করতে পারি। ধরে নিই যে আমাদের বিশ্লেষণ সঠিক ছিল এবং আমাদের নকশাটি ভাল, প্প্রাথমিক মডেল প্রত্যাশা অনুযায়ী কাজ করবে। এখন আমরা আমাদের সিস্টেমগুলি বাস্তবে তৈরি করার লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে পারি।
{{Control Systems/Nav|নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/সিস্টেম মেট্রিক্স| নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/রূপান্তর}}
2nhnpndx284io3h8azodsce1di28x2c
84787
84786
2025-06-18T07:36:16Z
RDasgupta2020
8748
/* উৎপাদন */
84787
wikitext
text/x-wiki
{{Control Systems/Page|নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/সিস্টেম মেট্রিক্স| নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/রূপান্তর}}
==নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়া==
একজন নিয়ন্ত্রন ব্যাবস্থা প্রকৌশলীর কাজ হলো বিদ্যমান সিস্টেম বিশ্লেষণ করা এবং নির্দিষ্ট চাহিদা পূরণের জন্য নতুন সিস্টেমের নকশা প্রস্তুত করা। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে প্রায়শই বিদ্যমান সিস্টেম বা ব্যাবস্থার কর্মক্ষমতা উন্নত করার জন্য সিস্টেমের একটি নিয়ন্ত্রনকারী একক যন্ত্রাংশ (কন্ট্রোল ইউনিট) -এর নকশা প্রস্তুত করার প্রয়োজন হয়। তবে কখনো কখনো সম্পূর্ন যান্ত্রিক সিস্টেমেরই নকশা প্রস্তুত করার প্রয়োজন হয়ে পরে। একটি সিস্টেমের নকশা প্রস্তুত করার সময়, অথবা একটি বিদ্যমান সিস্টেমকে উন্নত করার জন্য একটি নিয়ন্ত্রক প্রস্তুতির সময় কিছু মৌলিক পদক্ষেপ অনুসরণ করতে হয়, যেগুলি সিস্টেমের মানদন্ড বজায় রাখার জন্য অত্যন্ত জরুরী। এই মৌলিক পদক্ষেপগুলি সম্পর্কে নিম্নে আলোচনা করা হয়েছে:
#প্রথমে গাণিতিকভাবে সিস্টেমটির নকশা বা মডেল তৈরি করঅতে হয়।
#এরপর গাণিতিক মডেল বা নকশার বিশ্লেষণ করা আবশ্যক।
#সিস্টেম/নিয়ন্ত্রক(কন্ট্রোলার) -এর জন্য প্রথম তার নকশা প্রস্তুত করতে হয়।
#এবার সেই নকশার উপর ভিত্তি করে সিস্টেম/নিয়ন্ত্রকটি বাস্তবে তৈরী করা হয় এবং তারপর তার কার্যকারিতা পরীক্ষা করা হয়।
এই বইয়ের বেশিরভাগ অংশই উপরিউক্ত নির্দেশ তালিকার মধযে দ্বিতীয় ধাপ অর্থাৎ গাণিতিক পদ্ধতির বিশ্লেষণের উপর কেন্দ্রীভূত হবে। এই অধ্যাইয়ে শুধুমাত্র সিস্টেমগুলির গাণিতিক মডেল প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনার করা হবে।
==বাহ্যিক বর্ণনা==
একটি সিস্টেমের পূর্ণ অবয়ব সংক্ষেপে বর্ণনা করার সময় সিস্টেমের নিবেশিত অংশ বা ইনপুটের সাথে সিস্টেমের বাহ্যিক অংশ বা আউটপুটের সম্পর্ক প্রদর্শিত করা হয়, কিন্তু এক্ষেত্রে সিস্টেমের অভ্যন্তরীণ কার্যকারিতা ও অন্যান্য জটিল বিষয় সম্পর্কে কোন সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা দেওয়া হয়না। একটি সিস্টেমের বাহ্যিক বর্ণনাকে কখনও কখনও সিস্টেমের ইনপুট-আউটপুট বর্ণনাও বলা হয় , কারণ এতে কেবলমাত্র সিস্টেমের ইনপুট এবং আউটপুটের উপরই মনোনিবেশ করা হয়।
[[Image:Time-Domain Transfer Block.svg|center]]
যদি সিস্টেমটিকে একতি গাণিতিক ফাংশন ''h(t, r)'' -এর মাধ্যমে প্রকাশ করা যায় যেখানে ''t'' সময়ে সিস্টেম থেকে আউটপুট বা কাঙ্খিত ফলাফল পাওয়া যায় এবং ''r'' হল সেই সময় যখন সিস্টেমে নিবেশিত মান বা ইনপুট প্রয়োগ করা হয়েছে, তাহলে সিস্টেম ফাংশন ''h(t, r)'' -এর সাথে ইনপুট মান ''x'' এবং আউটপুট মান ''y'' -এর সম্পর্ক নিম্নলিখিত সমাকলনের মাধ্যমে প্রকাশ করা যায়:
{{eqn|সাধারণ সিস্টেমের বর্ণনা}}
:<math>y(t) = \int_{-\infty}^\infty h(t, r)x(r)dr</math>
এই সমীকরনের মাধ্যমে সমস্ত রৈখিক সিস্টেমের বর্ণনা করা যায়।
যদি সিস্টেমে ''t=r'' সময়ে প্রয়োগীকৃত নিবেশ বা ইনপুট সংকেত সিস্টেমের কার্যকারিতাকে একমাত্র তখনই প্রভাবিত করতে পারে যখন, <math>t \ge r</math> এবং ''t=0'' সময়ের পূর্বে যদি সিস্টেমে কোন প্রকার ইনপুট প্রয়োগ না করা হয়, তাহলে আমরা উপরের সমাকলনের সীমাতি নিম্নরূপে পরিবর্তিত করতে পারি:
:<math>y(t) = \int_0^t h(t, r)x(r)dr</math>
===সময় নিরপেক্ষ ব্যাবস্থা===
যদি কোনও সিস্টেম বা ব্যাবস্থা সময় নিরপেক্ষ হয়, তাহলে আমরা সিস্টেম বর্ণনা সমীকরণটি নিম্নরূপে পুনর্লিখন করতে পারি:
:<math>y(t) = \int_0^t h(t - r)x(r)dr</math>
এই সমীকরণটি কনভোল্যুশন সমাকলন নামে পরিচিত , এবং আমরা পরবর্তী অধ্যায়ে এটি সম্পর্কে আরও আলোচনা করব।
প্রত্যেক সময়-নিরপেক্ষ রৈখিক সিস্টেম (এলটিআই) -কে '''ল্যাপ্লেস রুপান্তরন''', নামক গাণিতিক মডেলের মাধ্যমে সংজ্ঞায়িত করা যায়। এই বহু ব্যাবহৃত গানিতিক মডেলের মাধ্যমে কোন সময় নির্ভর সিস্টেমের গাণিতিক মডেলকে কম্পাঙ্ক নির্ভর ক্ষেত্র বা ফ্রিকোয়েন্সি ডোমেইন -এ পরিবর্তিত করা যায় (ল্যাপ্লেস রূপান্তরনে ফ্রিকোয়েন্সি ডোমেইনকে এস-ডোমেইন বলা হয়), যার ফলে অনেক সমীকরনের সমাধান অত্যন্ত সহজ হয়। সময় নিরপেক্ষ সিস্টেমের ক্ষেত্রে ল্যাপ্লেস রুপান্তরন ব্যাবহার করা যায়না।
==অভ্যন্তরীণ বর্ণনা==
যদি কোনো সিস্টেম রৈখিক এবং সমাকীর্ণ (লাম্পড) হয়, তাহলে সেটিকে একটি সমীকরণ-ভিত্তিক ব্যবস্থায় বর্ণনা করা যায়, যাকে বলা হয় '''অবস্থান সমীকরন''' অথবা '''স্টেট-স্পেস সমীকরণ'''। স্টেট-স্পেস সমীকরণে আমরা সিস্টেমের অভ্যন্তরীণ অবস্থা বোঝাতে চলরাশি ''x'' ব্যবহার করি। সিস্টেমে ইনপুট বা নিবেশিত মান বোঝাতে ''u'' এবং সিস্টেমের আউটপুট বা ফলাফল বোঝাতে ''y'' ব্যবহার করা হয়। আমরা স্টেট-স্পেস সমীকরণগুলোকে নিম্নরূপে প্রকাশ করতে পারি:
:<math>x'(t) = A(t)x(t) + B(t)u(t)</math>
:<math>y(t) = C(t)x(t) + D(t)u(t)</math>
আধুনিক নিয়ন্ত্রন ব্যাবস্থার আলোচনার সময় আমরা স্টেট-স্পেস সমীকরনের ব্যাপারে বিশদে আলোচনা করব।
==জটিল বর্ণনা==
সময়-নিরপেক্ষ রৈখিক সিস্টেম এবং সমাকীর্ণ সিস্টেমসমূহকে স্টেট-স্পেস সমীকরণ এবং ল্যাপ্লেস রুপান্তরনের সংমিশ্রণ ব্যবহার করেও বর্ণনা করা যেতে পারে। যদি আমরা উপরে তালিকাভুক্ত স্টেট-স্পেস সমীকরণগুলির ল্যাপ্লেস রূপান্তরন নির্ধারণ করি, তাহলে আমরা রূপান্তরন ম্যাট্রিক্স (ট্রান্সফার ম্যাট্রিক্স) ফাংশন নামে পরিচিত ফাংশনের একটি সেট পেতে পারি। আমরা পরবর্তী অধ্যায়ে এই ফাংশনগুলি নিয়ে আলোচনা করব।
==উপস্থাপনা==
নিম্নের তালিকায় বিভিন্ন সিস্টেম বা ব্যাবস্থার বৈশিষ্ট্য এবং তাদের বিশ্লেশষনের জন্য বযাবহৃত একাধিক গাণিতিক মডেল সম্পর্কে বর্ণনা করা হয়েছে:
:{| class="wikitable"
|-
!বৈশিষ্ট্য !! স্টেট-স্পেস<br>সমীকরন !! ল্যাপ্লেস<br> রূপান্তর !! রূপান্তরন<br>ম্যাট্রিক্স
|-
|রৈখিক, সময়-সাপেক্ষ, বিন্যাস্ত || না || না || না
|-
|রৈখিক, সময়-সাপেক্, সমাকীর্ণ || হ্যাঁ || না || না
|-
|রৈখিক, সময়-নিরপেক্ষ, বিন্যাস্ত || না || হ্যাঁ || না
|-
|রৈখিক, সময়-নিরপেক্ষ, সমাকীর্ণ || হ্যাঁ || হ্যাঁ || হ্যাঁ
|}
আমরা পরের অধ্যায়ে এইরূপ নানা রকম সিস্টেমের উপস্থাপনা সম্পর্কে আলোচনা করব।
==বিশ্লেষণ==
উপরে তালিকাভুক্ত উপস্থাপনাগুলির যেকোন একটি ব্যবহার করে কোনো সিস্টেমের প্রাথমিক নকশা প্রস্তুত করা হলে, প্রথমে সেই সিস্টেমের বিশ্লেষণ প্রয়োজন। আমরা সিস্টেমের বিভিন্ন পরিমাপক নির্ধারণ করতে পারি এবং তারপর সেই পরিমাপগুলিকে আমাদের নির্ধারিত মানদন্ডের সঙ্গে তুলনা করতে পারি। যদি সিস্টেমটি সেই মানদন্ডগুলি পূরণ করে, তাহলে সিস্টেমের নকশা প্রস্তুত করার প্রক্রিয়া শেষ। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সিস্টেমটি নির্ধারিত মানদন্ড পূরণ করে না। সেই ক্ষেত্রে উপযুক্ত যান্ত্রিক নিয়ন্ত্রক (কন্ট্রোলার) এবং যান্ত্রিক ক্ষতিপূরনকারী (কম্পেনসেটর) -এর নকশা প্রস্তুত করে সিস্টেমে যুক্ত করতে হয়।
কিন্তু কন্ট্রোলার এবং কম্পেনসেটর ডিজাইন করলেই কাজ শেষ হয়ে যায় না — নতুনভাবে তৈরি করা সম্মিলিত সিস্টেমটিকে বিশ্লেষণ করতে হয়, যাতে নিশ্চিত হওয়া যায় যে নতুন যুক্ত যন্ত্রাংশগুলি ঠিকভাবে কাজ করছে। পাশাপাশি, আমাদের নিশ্চিত করতে হয় যে সিস্টেমটি স্থিতিশীল আছে — কারণ, অস্থিতিশীল সিস্টেম বিপজ্জনক হতে পারে।
===কম্পাঙ্কের সাপেক্ষে বিশ্লেষণ===
সিস্টেমের প্রাথমিক ডিজাইন বা দ্রুত বিশ্লেষণের ক্ষেত্রে ফ্রিকোয়েন্সি ডোমেইন বা কম্পাঙ্কের সাপেক্ষে বিশ্লেষণ, সময় এককের সাপেক্ষে বিশ্লেষণের থেকে সহজ ও কার্যকর হয়। কম্পাঙ্কের সাপেক্ষে বিশ্লেষণের প্রক্রিয়ায় সিস্টেমে উৎপন্ন অস্থিতার শক্তি বিভাজনকে (পাওয়ার স্পেক্ট্রাল ডেনসিটি বা পিএসডি) সরাসরি ব্যবহার করা যায়, ট্রান্সফার ফাংশনও সরাসরি প্রয়োগ করা যায়, এবং এর ফলাফলও সহজে পাওয়া যায়। এই বিশ্লেষণে যে আউটপুট বা ফলাফল পাওয়া যায় তা সাধারণত সময়ের সাপেক্ষে স্থিতিশীল থাকে (স্টেডি-স্টেট রেসপন্স) হয়। সিস্টেমের সাথে যুক্ত অনেক যান্ত্রিক নিয়ন্ত্রকই আউটপুটের মান শূন্যে নামিয়ে আনতে চেষ্টা করে। তাই এই স্টেডি-স্টেট রেসপন্স আসলে সিস্টেমের একটি চূড়ান্ত ত্রুটি যা বিশ্লেষণের চূড়ান্ত ফলাফল বা মানদন্ড হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
<div align="center">
{| style="width:600px; background:transparent; font-size:120%" align="center" border="5"
|+ '''সারনী ১: কম্পাঙ্কের সাপেক্ষে প্রস্তাবিত ইনপুট এবং আউটপুট'''
! ইনপুট !! প্রস্তাবনা !! আউটপুট
|- style="background:transparent; color:#C00000;" align="center"
| পিএসডি
| স্থানান্তর ফাংশন
| পিএসডি
|}
</div>
====গণিতের সংক্ষিপ্ত বিবরণ====
ফ্রিকোয়েন্সি ডোমাইন বা কম্পাঙ্ক সাপেক্ষে সিস্টেমের বিশ্লেষণ হল এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে সিস্টেমের স্পন্দন প্রতিক্রিয়া বা ইমপালস রেসপন্স নির্ধারণ করা যায়।
[[Image:FreqDomainBlocks.png|thumb|center|500px|চিত্র ১: ফ্রিকোয়েন্সি ডোমেন সিস্টেম]]
:<math>S_{YY}\left(\omega\right)=G^*\left(\omega\right)G\left(\omega\right)S_{XX}= \left | G\left(\omega\right)\right \vert S_{XX}</math><ref>Sun, Jian-Qiao (2006). ''Stochastic Dynamics and Control, Volume 4''. Amsterdam: Elsevier Science. {{ISBN|0444522301}}.</ref>
যেখানে,
::<math>S_{XX}\left(\omega\right)</math> হল সিস্টেমের অস্থিতার শক্তি বিভাজন বা পিএসডি, যার একক <math>\frac{magnitude^2}{Hz}</math>
::<math>G\left(\omega\right)</math> হল সিস্টেমের ফাংশন যা কম্পাঙ্ক ক্ষেত্রে পরিবর্তিত হয়েছে। একে ফ্রিকোয়েন্সি রেসপন্স ফাংশনও বলে
::<math>S_{YY}\left(\omega\right)</math> আউটপুট ফাংশনের পিএসডি।
ফ্রিকোয়েন্সি রেসপন্স ফাংশন, <math>G\left(\omega\right)</math>, সিস্টেমের রূপান্তরন ফাংশনের সাথে সম্পর্কিত।
বিভিন্ন বইয়ে এ নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন মত পাওয়া যায়। কিছু বই বলে, উপরোক্ত সমীকরণ কেবলমাত্র স্থিতিশীল লক্ষ্যবিহীন (র্যান্ডম) প্রক্রিয়ার জন্যই প্রযোজ্য। অন্য কিছু বইতে অন্যান্য কিছু প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে উপরের সমীকরণ প্রযোজ্যতার কথা বলে উল্লেখ করা হয়েছে। কিছু বইতে আবার কঠোরভাবে স্থিতিশীল (সমস্ত ক্রমের গাণিতিক গড় অপরিবর্তিত) এবং দুর্বল স্থিতিশীল সিস্টেমের মধ্যে কোনো পার্থক্য করে না তবে বাস্তব ক্ষেত্রে সাধারণভাবে যা ধরা হয়, তা হলো: যদি সিস্টেমের ইনপুট সিগন্যালের শক্তি বিভাজন বা পি এস ডি ঘণ্টার পর ঘণ্টা বা দিনের পর দিন একরকম থাকে, তবে সেটিকে স্থিতিশীল সিস্টেম ধরা যায় এবং তখন উপরের সমীকরণটি ব্যবহারযোগ্য ও বৈধ।
==মন্তব্য==
<references />
*[http://wikis.controltheorypro.com/index.php?title=Frequency_Domain_Modeling উদাহরন সহ সিস্টেম মডেলিং -এর ব্যাখ্যা]
==নকশা প্রস্তুতকরনের উদাহরণ==
নিয়ন্ত্রন ব্যাবস্থায় সিস্টেম মডেলিং একটি বিশদ বিচার-বিবেচনার বিষয়। এই বিষয়ে বাস্তবিক জ্ঞান অর্জনের জন্ শুধু লিখিত তথ্য নয় বরং অন্যদের তৈরী সিস্টেম বা যান্ত্রিক মডেল ভালোভাবে পর্যবেক্ষন করা উচিত, তাহলে অনেক কিছু জানা যায়। কিছু সাইট যেখান সিস্টেম মডেলিং বা নকশা প্রস্তুতকরনের অনেক উদাহরণ রয়েছে। এখানে কয়েকটির লিঙ্ক দেওয়া হল।
* [https://web.archive.org/web/20121214093707/http://wikis.controltheorypro.com/index.php?title=Helicopter_Hover_Example হেলিকপ্টারের উদাহরণ]
* [https://web.archive.org/web/20160325175552/wikis.controltheorypro.com/index.php?title=Reaction_Cancellation_Example বিক্রিয়া টর্ক]
* [https://web.archive.org/web/20150919081842/http://wikis.controltheorypro.com/index.php?title=Category:Examples কন্ট্রোলথেরাপি প্রো ডট কম-এ সকল উদাহরণের তালিকা]
==উৎপাদন==
সঠিকভাবে সিস্টেমটির নকশা প্রস্তুত করা হয়ে গেলে আমরা আমাদের সিস্টেমটির একটি প্রাথমিক মডেল তৈরি করতে পারি এবং তার পরীক্ষা করতে পারি। যদি আমরা ধরে নিই যে আমাদের বিশ্লেষণ সঠিক ছিল এবং আমাদের প্রস্তুত করা যান্ত্রিক সিস্টেমের নকশাটি যথোপযুক্ত, তাহলে প্রাথমিক মডেল হয়তো প্রত্যাশা অনুযায়ী কাজ করবে তবে তা পরীক্ষা সাপেক্ষ। যদি সিস্টেমের পরীক্ষার ফল ভালো হয় তাহলে আমরা আমাদের সিস্টেমগুলি বাস্তবে তৈরি করার লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে পারি।
{{Control Systems/Nav|নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/সিস্টেম মেট্রিক্স| নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/রূপান্তর}}
r5w8o16b3lyyxxktewywd1f1ds2hpsk
ব্যবহারকারী:MS Sakib/খেলাঘর/১
2
26653
84673
84146
2025-06-17T19:25:29Z
NusJaS
8394
84673
wikitext
text/x-wiki
{| class="wikitable sortable"
! নিবন্ধের নাম !! শব্দসংখ্যা !! ✔️?
|-
| [[কানাডায় শরনার্থী প্রক্রিয়া]] || ১,২৪০ || ✔️
|-
| [[কানাডায় শরনার্থী প্রক্রিয়া/কানাডায় শরণার্থী প্রক্রিয়ার ইতিহাস]] || ২৬,৬৯১ || ✔️
|-
| [[কানাডায় শরনার্থী প্রক্রিয়া/শুনানির অধিকার ও ন্যায্য শুনানির অধিকার]] || ২১,৬৩২
|-
| [[কানাডায় শরনার্থী প্রক্রিয়া/পক্ষপাতহীন সিদ্ধান্তগ্রহণকারীর অধিকার]] || ৫,৫৬৬ || ✔️
|-
| [[কানাডায় শরনার্থী প্রক্রিয়া/বোর্ডের অনুসন্ধানমূলক দায়িত্ব]] || ৮,৪২০ || ✔️
|-
| [[কানাডায় শরনার্থী প্রক্রিয়া/শরণার্থী প্রক্রিয়া ব্যাখ্যার নীতিমালা]] || ১৭,৯৯০ || ✔️
|-
| [[কানাডায় শরনার্থী প্রক্রিয়া/স্বাধীন সিদ্ধান্তগ্রহণকারীর অধিকার]] || ৫,২৮৫ || (✔️)
|-
| [[জাপানের ইতিহাস: পুরাণ থেকে জাতিসত্ত্বা]] || ৩৪১ || ✔️
|-
| [[জাপানের ইতিহাস: পুরাণ থেকে জাতিসত্ত্বা/আসুকা যুগ]] || ৩০,১২১ || ✔️
|-
| [[সবকিছুর জন্যেই ইন্টারনেট?]] || ৪৫১ || ✔️
|-
| [[সবকিছুর জন্যেই ইন্টারনেট?/ওপেনসোর্স ও মালিকানাভিত্তিক প্রযুক্তি]] || ১২,৩৭৫ || ✔️
|-
| [[সবকিছুর জন্যেই ইন্টারনেট?/ডিজিটাল যুগে ব্যক্তিগত ও জনপরিসর]] || ৩৮,৮১৪ || ✔️
|-
| [[সবকিছুর জন্যেই ইন্টারনেট?/দৈনন্দিন জীবনে জ্ঞান ও উপাত্তের প্রবেশাধিকার]] || ২৭,১৬৪ || ✔️
|-
| [[সবকিছুর জন্যেই ইন্টারনেট?/নজরদারি ও প্রতিনজরদারি]] || ২০,৯৭৫
|-
| [[সবকিছুর জন্যেই ইন্টারনেট?/প্রযুক্তিগত ও সাংস্কৃতিক নির্ধারণবাদ]] || ১৩,৫৫৬
|}
-----
{| class="wikitable sortable"
! নিবন্ধের নাম !! শব্দসংখ্যা !! ✔️
|-
| [[চিন্তন ও নির্দেশনা/এনকোডিং ও পুনরুদ্ধার]] || ১১,৬৫১ || ✔️
|-
| [[চিন্তন ও নির্দেশনা/গণিত শেখা]] || ১০,৫০৬ || ✔️
|-
| [[চিন্তন ও নির্দেশনা/দীর্ঘমেয়াদী স্মৃতি]] || ৬,৯৮২ || ✔️!
|-
| [[চিন্তন ও নির্দেশনা/পড়তে শেখা]] || ৭,৬২২ || ✔️
|-
| [[চিন্তন ও নির্দেশনা/মেটাকগনিশন ও স্ব-নিয়ন্ত্রিত শেখা]] || ১৬,১৮১
|-
| [[চিন্তন ও নির্দেশনা/শিখন ও স্মৃতি]] || ৯,৩৭৪ || ✔️!
|-
| [[চিন্তন ও নির্দেশনা/শেখার জন্য প্রযুক্তি ও নকশা]] || ৭,৯১০ || ✔️
|-
| [[চিন্তন ও নির্দেশনা/সমস্যা সমাধান, সমালোচনামূলক চিন্তাভাবনা ও যুক্তি]] || ২০,৮৬০ || ✔️
|-
| [[চিন্তন ও নির্দেশনা/সহযোগিতামূলক এবং অনুসন্ধানভিত্তিক শিখন]] || ১৬,৯৯৫
|-
| [[চিন্তন ও নির্দেশনা/সাংবদ্ধ মনোবিজ্ঞানের উৎপত্তি]] || ৮,৩৭০ || ✔️!
|-
| [[জাপানের ইতিহাস: পুরাণ থেকে জাতিসত্ত্বা/আধুনিক জাপান]] || ৩,৮৬৯ || ✔️
|-
| [[জাপানের ইতিহাস: পুরাণ থেকে জাতিসত্ত্বা/ইয়াইয়োই যুগ]] || ১০,৫১৫
|-
| [[জাপানের ইতিহাস: পুরাণ থেকে জাতিসত্ত্বা/নারা যুগ]] || ২৫,৯০২
|-
| [[জাপানের ইতিহাস: পুরাণ থেকে জাতিসত্ত্বা/মধ্য হেইয়ান যুগ]] || ১১,৮৩৮
|-
| [[জাপানের ইতিহাস: পুরাণ থেকে জাতিসত্ত্বা/মুরোমাচি যুগ/নানবোকুচো যুগ]] || ৮,৯৫০ || (✔️)
|-
| [[মানব শারীরতত্ত্ব/অন্তঃক্ষরা গ্রন্থিতন্ত্র]] || ৭,৩২৭ || ✔️
|-
| [[মানব শারীরতত্ত্ব/গর্ভধারণ ও সন্তান প্রসব]] || ৯,০৯৫ || ✔️
|-
| [[মানব শারীরতত্ত্ব/রেচনতন্ত্র]] || ৫,৫৩৬ || ✔️
|}
-----
{| class="wikitable sortable"
! নিবন্ধের নাম !! শব্দসংখ্যা
|-
| [[রন্ধনপ্রণালী:আমের টক]] || ২৩০
|-
| [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/অ-প্রাইমেট পাখির গান]] || ২,২৪৬
|-
| [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/অন্যান্য প্রাণী]] || ৩,৩৮১
|-
| [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/অন্যান্য প্রাণী/ইকোলোকেশনকারী দাঁতযুক্ত তিমি]] || ৮৮০
|-
| [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/কম্পিউটার মডেল/ঘ্রাণতন্ত্র সিমুলেশন]] || ২,৮৮৫
|-
| [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/কম্পিউটার মডেল/বাক্ প্রত্যক্ষণ]] || ৮৩৭
|-
| [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/কম্পিউটার মডেল/ভারসাম্যতন্ত্র সিমুলেশন]] || ২১৫
|-
| [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/কম্পিউটার মডেল/শ্রবণতন্ত্র সিমুলেশন]] || ৪,৮৮৬
|-
| [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/কম্পিউটার মডেল/স্নায়বিক সিমুলেশন]] || ৫,১৩৫
|-
| [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/দৃষ্টিতন্ত্র]] || ১২,১৯১
|-
| [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/দৃষ্টিতন্ত্র/ইন ভিভো ইমেজিং]] || ১,২৩৮
|-
| [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/দৃষ্টিতন্ত্র/দৃষ্টিতন্ত্রের আন্তঃপ্রজাতি তুলনা]] || ১,৯৬০
|-
| [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/দৃষ্টিতন্ত্র/পুরাতন/সংবেদী অঙ্গের উপাদান]] || ১,৮২৯
|-
| [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/দেহসংবেদী তন্ত্রে স্পর্শলোম]] || ১,৩৪০
|-
| [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/পতঙ্গ/হ্যালটেরেস]] || ৫৫৮
|-
| [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/পাখি/চৌম্বক উপলব্ধি]] || ৩,৪৮৭
|-
| [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/বহুসংবেদী একত্রীকরণ]] || ২,০৬৪
|-
| [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/ব্যথার শারীরবিদ্যা]] || ৪,৬৬৪
|-
| [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/ভারসাম্যতন্ত্র]] || ২,১৫১
|-
| [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/ভারসাম্যতন্ত্রের অঙ্গসংস্থান]] || ৮৮৮
|-
| [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/সামুদ্রিক প্রাণী]] || ২,৮২৯
|-
| [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/স্নায়ুসংবেদী ইমপ্লান্ট]] || ৬,৫১৮
|-
| [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/স্নায়ুসংবেদী ইমপ্লান্ট/কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট]] || ১,৪৩০
|-
| [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/স্নায়ুসংবেদী ইমপ্লান্ট/ভবিষ্যতের দিকনির্দেশনা]] || ১,৮৪২
|-
| [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/স্নায়ুসংবেদী ইমপ্লান্ট/ভবিষ্যতের দিকনির্দেশনা/অপটোজেনেটিক্স]] || ১,১৯৭
|-
| [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/স্নায়ুসংবেদী ইমপ্লান্ট/ভেস্টিবুলার ইমপ্লান্ট]] || ১,০৮৩
|-
| [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/স্নায়ুসংবেদী ইমপ্লান্ট/রেটিনাল ইমপ্লান্ট]] || ৩,৯০৭
|-
| [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/হাঙ্গর]] || ১,৭২৯
|-
| [[রন্ধনপ্রণালী:কুমড়ো ঘন্ট]] || ২৩৯
|-
| [[রন্ধনপ্রণালী:কোরমা খিচুড়ি]] || ৩৩৬
|-
| [[রন্ধনপ্রণালী:গরুর রেজালা]] || ২৭১
|-
| [[রন্ধনপ্রণালী:গোমাংস ভুনা]] || ২৮৮
|-
| [[রন্ধনপ্রণালী:চাপাটি]] || ২২২
|-
| [[রন্ধনপ্রণালী:চিকেন কারি]] || ৩০৩
|-
| [[চিন্তন ও নির্দেশনা/বিজ্ঞান শিখন ও ধারণাগত পরিবর্তন]] || ১৯২
|-
| [[জাপানের ইতিহাস: পুরাণ থেকে জাতিসত্ত্বা/কোফুন যুগ]] || ১১,৫৬০
|-
| [[জাপানের ইতিহাস: পুরাণ থেকে জাতিসত্ত্বা/জাপানে বৌদ্ধধর্ম]] || ৭,০৮৩
|-
| [[জাপানের ইতিহাস: পুরাণ থেকে জাতিসত্ত্বা/প্রারম্ভিক হেইয়ান যুগ]] || ৯,২৫৮
|-
| [[তড়িৎ ও চুম্বক/চুম্বকত্ব/তড়িৎ প্রবাহ দ্বারা চৌম্বক বল]] || ১৬৮
|-
| [[দর্শনের সাথে পরিচয়/ধর্মতত্ত্ব]] || ৯১৯
|-
| [[দর্শনের সাথে পরিচয়/যুক্তিবিদ্যা/বাক্যযুক্তির আরও আনুষ্ঠানিক দৃষ্টিভঙ্গি]] || ৬৯৩
|-
| [[রন্ধনপ্রণালী:নান রুটি]] || ৩০২
|-
| [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/ডিজিটাল নিয়ন্ত্রণের ভূমিকা]] || ৩৬৮
|-
| [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/পোল ও জিরো]] || ৫৯৬
|-
| [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/বোডি চিত্র]] || ১,১২৩
|-
| [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/রাউথ-হারউইটজ মানদণ্ড]] || ৭৫৯
|-
| [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/সময় ভেদে পরিবর্তনশীল সিস্টেম সমাধান]] || ৮৫৭
|-
| [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/সিস্টেম মেট্রিক্স]] || ১,৬৪৪
|-
| [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/সিস্টেম শনাক্তকরণ]] || ১,০৮৭
|-
| [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/স্টেট-স্পেস সমীকরণ]] || ২,৩৭৬
|-
| [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/স্টেট-স্পেস স্থিতিশীলতা]] || ৮১৯
|-
| [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/স্যাম্পলড ডেটা সিস্টেম]] || ২,১৯৬
|-
| [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/লম্ব বল ও ঘর্ষণ]] || ৭২০
|-
| [[রন্ধনপ্রণালী:পাবদা মাছের ঝোল]] || ২৫৬
|-
| [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/অলঙ্করণ/অনুমান]] || ৮২১
|-
| [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/অলঙ্করণ/লেখক/রীতিনীতি]] || ৩,৭৩৭
|-
| [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/উপস্থাপনা]] || ৩,২৫৭
|-
| [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/নকশা]] || ৯৭৭
|-
| [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/নকশা/ব্যবহারযোগ্যতা]] || ১,২৭৯
|-
| [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/নকশা/শেষাংশ]] || ৯৭৫
|-
| [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/নির্দেশাবলি]] || ১,৫৬৬
|-
| [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/নৈতিকতা/সংস্কৃতি]] || ১,২৫৮
|-
| [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/পেশা]] || ৭৫৭
|-
| [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/পেশা/কাভার লেটার]] || ২,১২৭
|-
| [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/পেশা/জীবনবৃত্তান্ত]] || ২,৪৯০
|-
| [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/পেশাদার লেখনী সম্বন্ধে]] || ৪৯৩
|-
| [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/প্রকল্প ব্যবস্থাপনা]] || ৭৬৫
|-
| [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/প্রকল্প ব্যবস্থাপনা/দলসমূহ]] || ১,৫৭৩
|-
| [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/প্রস্তাবনা]] || ১,৭৫৫
|-
| [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/ব্যবসায়িক যোগাযোগ/ওয়েবসাইট]] || ৯৬৭
|-
| [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/ব্যবসায়িক যোগাযোগ/চিঠি]] || ৭৮৪
|-
| [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/ব্যবসায়িক যোগাযোগ/মেমো]] || ১,২২৪
|-
| [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/সম্ভাব্যতা]] || ১,৭৪১
|-
| [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/আলট্রাসনিক মাধ্যমের জন্য নতুন শব্দ ফিল্টার]] || ১,৪৪৬
|-
| [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/চলন্ত কয়েল লাউডস্পিকার]] || ৫৭৯
|-
| [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/পিজোইলেকট্রিক ট্রান্সডিউসার]] || ৬৩৩
|-
| [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/ফিল্টার ডিজাইন ও বাস্তবায়ন]] || ১,৬৪৮
|-
| [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/বাদুড় ও ডলফিনের ইকোলোকেশন]] || ১,৪২৩
|-
| [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/মানব স্বররজ্জু]] || ৭৪৭
|-
| [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/স্ব-সমন্বয়ী হেলমহোল্টজ অনুরণকের সাহায্যে কোলাহল নিয়ন্ত্রণ]] || ১,২৪৭
|-
| [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/লসিকা তন্ত্র]] || ৭৮২
|-
| [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/শব্দকোষ/ক-খ]] || ৬৪৯
|-
| [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/শব্দকোষ/গ-ঘ]] || ৮৬৭
|-
| [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/শব্দকোষ/থ-ধ]] || ৮০২
|-
| [[রন্ধনপ্রণালী:বিফ কালিয়া]] || ৩১৫
|-
| [[রন্ধনপ্রণালী:বিফ স্যুপ]] || ২৪৯
|-
| [[রন্ধনপ্রণালী:বুটের বড়া]] || ২৭৯
|-
| [[রন্ধনপ্রণালী:মটর ডাল]] || ২৪৫
|-
| [[রন্ধনপ্রণালী:মাংসের চচ্চড়ি]] || ২৬৯
|-
| [[রন্ধনপ্রণালী:মাছের টিক্কি]] || ২৭৪
|-
| [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/আইজেনহাওয়ার নাগরিক অধিকার পঞ্চাশের দশক]] || ৪,০৭৪
|-
| [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/আবিষ্কারের যুগ ও গিল্ডেড যুগ]] || ৩,৩৯১
|-
| [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/ইংরেজ উপনিবেশ]] || ৩,৯৩৫
|-
| [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/ওবামা]] || ১,৯৮২
|-
| [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/ডব্লিউ. বুশ]] || ৩,৮১১
|-
| [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/পুনর্গঠন]] || ৫,০৬০
|-
| [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/প্রাক-কলম্বীয়]] || ২,৯২৪
|-
| [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/বিপ্লবের পথে]] || ৪,৪৪৩
|-
| [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/রাষ্ট্রপতিরা]] || ১,৯৪৪
|-
| [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/সংবিধানের প্রাথমিক বছর]] || ৩,৭৩৭
|-
| [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/সুপ্রিম কোর্টের মামলাসমূহ]] || ৬,৭১১
|-
| [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/স্প্যানিশ গৃহযুদ্ধ]] || ১,৪৩৫
|-
| [[রন্ধনপ্রণালী:মিষ্টি পুলি]] || ২৫৮
|-
| [[রন্ধনপ্রণালী:মুগডালের বড়া]] || ২৬৭
|-
| [[রন্ধনপ্রণালী:মুরগি ভুনা]] || ২৭৮
|-
| [[রন্ধনপ্রণালী:মুরগির কাটলেট]] || ২৩৭
|-
| [[রন্ধনপ্রণালী:মুরগির কোপ্তা]] || ৩৫৪
|-
| [[রন্ধনপ্রণালী:রস পিঠা]] || ২৪১
|-
| [[রন্ধনপ্রণালী:লাল সেমাই]] || ২৪৪
|-
| [[রন্ধনপ্রণালী:শসা ভর্তা]] || ২১০
|-
| [[রন্ধনপ্রণালী:সবজি নুডলস]] || ২৬৭
|-
| [[সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/সাধারণ সমাজতাত্ত্বিক তত্ত্ব]] || ২৪৬
|-
| [[সাধারণ বলবিজ্ঞান/নিয়ন্ত্রিত গতি]] || ৫৬৩
|}
c8cu4aj27iyk11vwcod7vzos4jy5sfu
জাপানের ইতিহাস: পুরাণ থেকে জাতিসত্ত্বা/সংঘর্ষকালীন রাজ্য যুগ
0
26694
84658
83812
2025-06-17T18:41:59Z
Asikur.rahman25
11164
84658
wikitext
text/x-wiki
সেনগোকু যুগ (সেনগোকু জিদাই) বা জাপানের ইতিহাসে যুদ্ধবিগ্রহের যুগ ছিল একটি অস্থির সময়। এই সময়ে সমাজে বিশৃঙ্খলা, রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র এবং প্রায় নিরবচ্ছিন্ন সামরিক সংঘর্ষ চলেছিল। এই যুগ আনুমানিক ১৫শ শতকের মাঝামাঝি থেকে ১৭শ শতকের শুরু পর্যন্ত স্থায়ী ছিল। "সেনগোকু" নামটি জাপানি ইতিহাসবিদরা চীনের ইতিহাসে যুদ্ধরত রাজ্য যুগ এর অনুরূপ এক সময়ের ইঙ্গিত করে ব্যবহার করেন। চীনের ঐ সময় যেমন একীকরণের দিকে ধাবিত হয়েছিল, তেমনি জাপানের সেনগোকু যুগও একসময়ে তোকুগাওয়া শোগুনতন্ত্রের মাধ্যমে রাজনৈতিক ক্ষমতার একীকরণে গিয়ে শেষ হয়।যদিও আশিকাগা শোগুনতন্ত্র কামাকুরা বাকুফুর কাঠামো বজায় রেখেছিল এবং ১২৩২ সালে হোজো কর্তৃক প্রণীত জোএই বিধিমালার ভিত্তিতে এক যোদ্ধা সরকার প্রতিষ্ঠা করেছিল তবে তারা অনেক দাইমিওর আনুগত্য অর্জন করতে ব্যর্থ হয়। বিশেষ করে যেসব দাইমিওর অঞ্চল কিয়োটো থেকে দূরে ছিল, তারা এই সরকারের প্রতি অনুগত ছিল না। চীনের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়ার ফলে অর্থনীতি বিকশিত হতে থাকে এবং বাজার ও বাণিজ্যিক শহর গড়ে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে মুদ্রার ব্যবহার ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। কৃষিতে উন্নতি এবং ছোট আকারের ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসারের ফলে সমাজের বিভিন্ন স্তরে স্থানীয় স্বায়ত্তশাসনের আকাঙ্ক্ষা তৈরি হয়। ১৫শ শতকের শুরু থেকেই ভূমিকম্প ও দুর্ভিক্ষের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ মানুষকে চরম দুর্ভোগে ফেলেছিল। ঋণের বোঝা ও করের ভারে ক্লান্ত কৃষকেরা মাঝে মাঝেই সশস্ত্র বিদ্রোহে জড়িয়ে পড়ত। ১৪৬৭ থেকে ১৪৭৭ সালের মধ্যে সংঘটিত ওনিন যুদ্ধ যা মূলত আর্থিক সংকট এবং শোগুন উত্তরাধিকার নিয়ে বিরোধের কারণে শুরু হয়েছিল সাধারণভাবে সেনগোকু যুগের সূচনা হিসেবে ধরা হয়। হোসোকাওয়া বংশের "পূর্বাঞ্চলীয়" বাহিনী এবং ইয়ামানা বংশের "পশ্চিমাঞ্চলীয়" বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। কিয়োটো শহর ও তার আশপাশে এই যুদ্ধ প্রায় ১১ বছর ধরে চলে এবং পরে তা জাপানের অন্যান্য প্রদেশেও ছড়িয়ে পড়ে।
==গেকোকুজো==
এই বিশৃঙ্খলার ফলে কেন্দ্রীয় কর্তৃত্ব আরও দুর্বল হয়ে পড়ে। সারা জাপানে স্থানীয় শাসকরা বা দাইমিওরা সেই শূন্যতা পূরণে এগিয়ে আসে। এই ক্ষমতা পরিবর্তনের সময় অনেক পুরনো প্রভাবশালী বংশ যেমন তাকেদা এবং ইমাগাওয়া যারা কামাকুরা ও মুরোমাচি শাসনামলে ক্ষমতায় ছিল। তারা নিজেদের প্রভাব আরও বিস্তৃত করতে সক্ষম হয়। তবে অনেক বংশের অবস্থান দুর্বল হয়ে পড়ে এবং পরবর্তীতে যোগ্য অধস্তনদের দ্বারা তারা ক্ষমতা হারায়। এই ধরনের সামাজিক মেধানির্ভর পরিবর্তন যেখানে দক্ষ অধস্তনেরা দুর্বল অভিজাতদের উৎখাত করে সেটিকে বলা হয় গেকোকুজো , যার অর্থ "নিম্নপদস্থ ব্যক্তি ঊর্ধ্বতনকে জয় করে"।এর অন্যতম প্রাথমিক উদাহরণ ছিল হোজো সওউন যিনি অপেক্ষাকৃত সাধারণ পরিবার থেকে উঠে এসেছিলেন এবং ১৪৯৩ সালে ইজু প্রদেশে ক্ষমতা দখল করেন। সওউনের অর্জনের ভিত্তিতে, পরবর্তী হোজো বংশ কানতো অঞ্চলে একটি বড় শক্তি হিসেবে টিকে ছিল যতদিন না তোয়োতোমি হিদেয়োশি সেনগোকু যুগের শেষদিকে তাদের দমন করেন। অন্যান্য উল্লেখযোগ্য উদাহরণ হলো হোসোকাওয়া বংশকে মিওশি বংশের প্রতিস্থাপন, শিবা বংশকে ওডা বংশের স্থান দখল এবং টোকি বংশকে সাইতো বংশের উৎখাত। এই সময়ে সুসংগঠিত ধর্মীয় গোষ্ঠীগুলিও রাজনৈতিক শক্তি অর্জন করে। তারা কৃষকদের একত্রিত করে দাইমিওদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ও বিদ্রোহে নেতৃত্ব দেয়। বৌদ্ধ সত্য নিখুঁত ভূমি মতবাদের ভিক্ষুরা বহু ইক্কু-ইক্কি গঠন করে। এর মধ্যে সবচেয়ে সফলটি ছিল কাগা প্রদেশে যা প্রায় একশ বছর পর্যন্ত স্বাধীনভাবে টিকে ছিল।
==ওডা নোবুনাগার উত্থান==
[[File:odanobunaga.jpg|thumb|300px|ওডা নোবুনাগা]]
১৬শ শতকের শেষার্ধে বেশ কিছু দাইমিও এতটাই শক্তিশালী হয়ে উঠেছিল যে তারা মুরোমাচি বাকুফুকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করতে পারত বা একেবারে উৎখাত করত। ১৫৬০ সালে ইমাগাওয়া ইয়োশিমোতো বাকুফু উৎখাতের চেষ্টা করেন। তিনি রাজধানীর দিকে অগ্রসর হচ্ছিলেন কিন্তু ওকেহাজামা যুদ্ধে ওডা নোবুনাগার হাতে পরাজিত হয়ে অপমানজনকভাবে শেষ হয় তার অভিযান। ১৫৬২ সালে, নোবুনাগার পূর্বপ্রান্তে অবস্থিত তোকুগাওয়া বংশ ইমাগাওয়া বংশের প্রভাব থেকে স্বাধীনতা লাভ করে এবং নোবুনাগার সঙ্গে জোট বাঁধে। এই জোটের ফলে নোবুনাগার পূর্ব দিকের এলাকা আগ্রাসনের হাত থেকে নিরাপদ থাকে। এরপর তিনি পশ্চিম দিকে তার বাহিনী পাঠান। ১৫৬৫ সালে, মাতসুনাগা ও মিওশি বংশের একটি জোট ষড়যন্ত্র করে ত্রয়োদশ আশিকাগা শোগুন আশিকাগা ইয়োশিতেরুকে হত্যা করে। কিন্তু অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে তারা দ্রুত ক্ষমতা দখল করে নিজেদের অবস্থান বৈধ করতে পারেনি। শেষমেশ ১৫৬৮ সালে তারা ইয়োশিতেরুর চাচাতো ভাই আশিকাগা ইয়োশিহিদেকে নতুন শোগুন হিসেবে বসাতে সক্ষম হয়। তবে তারা কিয়োটোতে প্রবেশ করতে পারেনি এবং সম্রাটের কাছ থেকে স্বীকৃতি পায়নি। এর ফলে শোগুন উত্তরাধিকার প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়ে। এরপর বাকুফুর কিছু অনুগত যাদের নেতৃত্বে ছিলেন হোসোকাওয়া ফুজিতাকা, ওডা নোবুনাগার সঙ্গে আলোচনায় বসেন। তারা আশিকাগা ইয়োশিআকিকে যিনি ইয়োশিতেরুর ছোট ভাই, শোগুন হিসেবে বসানোর জন্য নোবুনাগার সাহায্য চান।
ওডা নোবুনাগা বহু বছর ধরে এই ধরনের একটি সুযোগের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। তিনি উত্তরের ওমি প্রদেশে আসাই বংশের সঙ্গে জোট গড়ে তোলেন এবং পার্শ্ববর্তী মিনো প্রদেশ জয় করেন। এরপর তিনি কিয়োটোর দিকে অগ্রসর হন। দক্ষিণ ওমিতে রোক্কাকু বংশকে পরাজিত করার পর তিনি মাতসুনাগা বংশকে আত্মসমর্পণে বাধ্য করেন এবং মিওশি বংশকে সেতসু প্রদেশে পিছু হটতে বাধ্য করেন। এরপর তিনি রাজধানীতে প্রবেশ করেন এবং সম্রাটের কাছ থেকে ইয়োশিআকির জন্য আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি আদায় করেন। ইয়োশিআকি হন ১৫তম আশিকাগা শোগুন।
তবে নোবুনাগার লক্ষ্য ছিল না মুরোমাচি বাকুফুকে সেবা করা। বরং তিনি কানসাই অঞ্চলে নিজের দখল আরও শক্তিশালী করার দিকে মনোযোগ দেন। প্রতিদ্বন্দ্বী দাইমিও অনমনীয় বৌদ্ধ ভিক্ষু এবং শত্রুভাবাপন্ন বণিকদের প্রতিরোধ তিনি নির্মমভাবে দমন করেন। দ্রুতই তিনি একজন কঠোর ও অদম্য শত্রু হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। রাজনৈতিক ও সামরিক কৌশলের সহায়তায় তিনি অর্থনৈতিক সংস্কার শুরু করেন। তিনি মন্দির ও বণিক সংগঠনের ঐতিহ্যগত একচেটিয়া অধিকার বাতিল করে বাণিজ্যের প্রতিবন্ধকতা দূর করেন এবং উদ্যোগকে উৎসাহিত করতে শুরু করেন উন্মুক্ত বাজার ব্যবস্থা যা পরিচিত ছিল রাকুইচি-রাকুজা নামে।
১৫৭৩ সালের মধ্যে তিনি উত্তর সীমান্তে হুমকি সৃষ্টি করা আসাকুরা ও আজাই বংশের জোট ধ্বংস করেন। কিয়োটোর কাছের হিয়েই পর্বতে অবস্থিত তেনদাই বৌদ্ধদের সামরিক গোষ্ঠীকেও নিশ্চিহ্ন করেন। এছাড়া তাকেদা শিংগেন যখন টোকুগাওয়া বংশকে পরাজিত করে ওডার অঞ্চলে আক্রমণের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন ঠিক তখনই হঠাৎ অসুস্থ হয়ে মারা যান। ফলে, নোবুনাগা একটি বড় সংঘাত এড়াতে সক্ষম হন।
তাকেদা শিংগেনের মৃত্যুর পরেও কিছু শক্তিশালী দাইমিও রয়ে গিয়েছিলেন যারা নোবুনাগার প্রতিরোধ করতে পারতেন। কিন্তু তারা কেউই কিয়োটোর এত কাছে ছিলেন না যে রাজনৈতিকভাবে হুমকি হতে পারেন। ফলে, ওডা বংশের অধীনে জাপান একীভূত হওয়াটা তখন সময়ের ব্যাপার বলে মনে হচ্ছিল।
নোবুনাগার শত্রু কেবল অন্যান্য সেনগোকু দাইমিও নয় বরং জোদো শিনশু মতবাদের অনুসারী ইক্কু-ইক্কি আন্দোলনের অংশগ্রহণকারীরাও ছিলেন। তাদের নেতা ছিলেন কেনন্যো। নোবুনাগা টানা দশ বছর ধরে তার দুর্গ আক্রমণ করলেও কেনন্যো তা সহ্য করে টিকে ছিলেন। একাদশ বছরে নোবুনাগা অবশেষে কেনন্যোকে বহিষ্কার করেন। তবে কেনন্যোর উসকানিতে হওয়া বিদ্রোহ নোবুনাগার এলাকায় ব্যাপক ক্ষতি করে। এই দীর্ঘ সংঘাত পরিচিত ছিল ইশিয়ামা হোঙ্গানজি যুদ্ধ নামে।
বৌদ্ধ ধর্মকে দমন করার জন্য নোবুনাগা খ্রিষ্টধর্মকে সমর্থন দেন। ইউরোপ থেকে আসা ধর্মপ্রচারকদের মাধ্যমে জাপানে অনেক নতুন সংস্কৃতি প্রবেশ করে। এর মধ্যে ছিল নতুন খাদ্যদ্রব্য, চিত্রাঙ্কনের নতুন পদ্ধতি, জ্যোতির্বিজ্ঞান, ভূগোল, চিকিৎসাবিজ্ঞান এবং নতুন মুদ্রণ প্রযুক্তি।
==জাপানের একীকরণ==
প্রায় দেড় শতাব্দী ধরে রাজনৈতিক অস্থিরতা ও যুদ্ধের পর ওয়ারি প্রদেশের (বর্তমান আইচি প্রিফেকচার) একজন সাধারণ সামন্তপ্রভু ওডা নোবুনাগা জাপানের কেন্দ্রীয় অঞ্চলে আধিপত্য বিস্তার করেন। কিন্তু ১৫৮২ সালে তাঁরই একজন জেনারেল আকেচি মিৎসুহিদে বিশ্বাসঘাতকতা করে নোবুনাগাকে হত্যা করেন। এই ঘটনার ফলে নোবুনাগার অন্যতম বিশ্বস্ত জেনারেল তোয়োতোমি হিদেয়োশি যিনি একজন সাধারণ আশিগারু (পদাতিক) থেকে উঠে এসেছিলেন, তাঁর উত্তরসূরি হিসেবে আত্মপ্রকাশের সুযোগ পান। হিদেয়োশি বাকি সামন্তপ্রভুদের নিয়ন্ত্রণে আনেন এবং যদিও তাঁর সাধারণ জন্মের কারণে তিনি "সেই তাইশোগুন" উপাধি লাভে অযোগ্য ছিলেন তিনি "কাম্পাকু" (প্রধান উপদেষ্টা) হিসেবে শাসন করেন। ১৫৯২ সালে তাঁর সৎ ভাই তোয়োতোমি হিদেনাগার মৃত্যুর পর, হিদেয়োশি তাঁর ভাগ্নে তোয়োতোমি হিদেতসুগুকে কামপাকু হিসেবে নিয়োগ দেন।
তবে একই বছরে হিদেয়োশি কোরিয়ায় অভিযান শুরু করেন যা ইমজিন যুদ্ধ নামে পরিচিত। এই যুদ্ধ ১৫৯২ থেকে ১৫৯৮ সাল পর্যন্ত চলে যার মধ্যে ১৫৯৬ সালে একটি সংক্ষিপ্ত যুদ্ধবিরতি হয়। শেষ পর্যন্ত জাপান কোরিয়ার উপদ্বীপ দখল করতে ব্যর্থ হয়।
দেশের অভ্যন্তরে, হিদেয়োশি ও হিদেতসুগুর সম্পর্ক অবনতি ঘটতে থাকে। হিদেতসুগুর বিরুদ্ধে অনেক হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ ওঠে যা অন্যায্য বলে বিবেচিত হয়। ১৫৯৫ সালে, তাঁর বিরুদ্ধে অভ্যুত্থানের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনা হয় এবং হিদেয়োশির আদেশে তিনি কোয়া পর্বতে সেপ্পুকু করতে বাধ্য হন। পরবর্তীতে হিদেতসুগুর পরিবারকেও হিদেয়োশির আদেশে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয় যা অনেক সামন্তপ্রভুর মধ্যে বিতর্ক সৃষ্টি করে। এই ঘটনাগুলি সেকিগাহারার যুদ্ধের পর তোয়োতোমি বংশের কর্তৃত্বের পতনের দিকে নিয়ে যায়।
১৫৯৮ সালে হিদেয়োশির মৃত্যুতে তিনি কোনো যোগ্য উত্তরসূরি রেখে যাননি। ফলে দেশ আবার রাজনৈতিক অস্থিরতায় নিমজ্জিত হয় এবং এই সুযোগে তোকুগাওয়া ইয়েয়াসু ক্ষমতা দখলের উদ্যোগ নেন।
==সেকিগাহারা, এডো শোগুনাতের প্রতিষ্ঠা ও ওসাকা==
হিদেয়োশির মৃত্যুর আগে তিনি তোকুগাওয়া ইয়েয়াসু (কান্তো অঞ্চল), উকিতা হিদেইয়ে (বিজেন ও মিমাসাকা), মায়েদা তোশিইয়ে (কাগা ও এচু), উএসুগি কাগেকাতসু (ইওনেজাওয়া), মোরি তেরুমোতো (চোশু) এবং কোবায়াকাওয়া তাকাকাগেকে "পাঁচ প্রবীণ" পরিষদের সদস্য হিসেবে নিয়োগ দেন। এই পরিষদ হিদেয়োশির পুত্র ও উত্তরসূরি তোয়োতোমি হিদেওরির পক্ষে রিজেন্ট হিসেবে শাসন করত। তবে ১৫৯৮ সালে হিদেয়োশির মৃত্যুর পর, পরিষদের মধ্যে সম্পর্ক অবনতি ঘটে এবং ১৫৯৯ সালে মায়েদা তোশিইয়ের মৃত্যুর পর দ্বন্দ্ব শুরু হয়। দুইটি পক্ষ গঠিত হয়: "বুনচিহা" (যারা প্রশাসনিক শাসন চায়) এবং "বুন্দানহা" (যারা সামরিক শাসন সমর্থন করে)।
ইয়েয়াসু বুন্দানহা দলের সদস্য ছিলেন এবং তাঁর প্রভাব ছিল ব্যাপক। তিনি রাজনৈতিক বিবাহের মাধ্যমে জাপানজুড়ে জোট গঠন করেন, যার মধ্যে তাঁর পুত্র তাদাতেরুকে ডাতে মাসামুনের কন্যা ইরোহাহিমের সঙ্গে বিবাহ দেন। এই বিবাহগুলি পরিষদের সদস্যদের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি করে। কারণ তারা বিশ্বাস করতেন যে এই ধরনের বিবাহের জন্য পরিষদের অনুমোদন প্রয়োজন। সাওয়ায়ামা দুর্গের সামন্তপ্রভু ইশিদা মিৎসুনারি তখন তোয়োতোমি অনুগতদের নিয়ে একটি জোট গঠন করেন যার মধ্যে হিদেইয়ে, কাগেকাতসু এবং তেরুমোতো ছিলেন। তেরুমোতো ওসাকা দুর্গে অবস্থান করেন ফলে মিৎসুনারি মাঠের কমান্ডার হন। তবে মিৎসুনারি ও অন্যান্য তোয়োতোমি জেনারেলদের মধ্যে দ্বন্দ্ব দেখা দেয়, যার মধ্যে কুমামোটো ডোমেইনের কাতো কিয়োমাসাও ছিলেন। এই বিভাজন ইয়েয়াসুকে অনেক সামন্তপ্রভুকে তাঁর পক্ষে টানতে সাহায্য করে।
[[File:Sekigaharascreen.jpg|left|thumb|518x518px|সেকিগাহারার যুদ্ধের একটি এডো যুগের পর্দা]] ১৬০০ সালে উএসুগি কাগেকাতসু তোকুগাওয়া ইয়েয়াসুর বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে বিদ্রোহ করেন এবং আইজুতে একটি দুর্গ নির্মাণ শুরু করেন। ইয়েয়াসু তাঁর কাছে ব্যাখ্যা চান কিন্তু কাগেকাতসু তা অস্বীকার করেন। কাগেকাতসুর উদ্দেশ্য ছিল ইয়েয়াসুকে ব্যস্ত রেখে মিৎসুনারিকে পশ্চিমে আক্রমণ করতে সুযোগ করে দেওয়া। তবে ইয়েয়াসু এটি পূর্বাভাস করেছিলেন এবং তিনি নিজে কাগেকাতসুর বিরুদ্ধে না গিয়ে মোগামি ইয়োশিয়াকি ও ডাতে মাসামুনেকে তোহোকু অঞ্চলে কাগেকাতসুর বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যেতে বলেন। ১৬০০ সালের ২১ অক্টোবর, ইশিদা মিৎসুনারির নেতৃত্বাধীন পশ্চিম বাহিনী ও তোকুগাওয়া ইয়েয়াসুর নেতৃত্বাধীন পূর্ব বাহিনীর মধ্যে সেকিগাহারার যুদ্ধে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এই যুদ্ধ তোকুগাওয়া বাহিনীর নিরঙ্কুশ বিজয়ে শেষ হয়। যুদ্ধের পর, ১৬০৩ সালে, ইয়েয়াসু "সেই তাইশোগুন" উপাধি লাভ করেন এবং এডো (বর্তমান টোকিও) শহরে তোকুগাওয়া শোগুনাত প্রতিষ্ঠা করেন। এই বিজয়ের মাধ্যমে, তোয়োতোমি বংশের অবশিষ্ট শক্তি ধ্বংস হয় এবং জাপানে তোকুগাওয়া শাসনের সূচনা হয়, যা পরবর্তী দুই শতাব্দী ধরে স্থিতিশীলতা ও শান্তি বজায় রাখে।
এদিকে, ইশিদা মিৎসুনারি অবশেষে তাঁর অভিযান শুরু করেন। ২৭ আগস্ট তিনি ফুশিমি দুর্গ অবরোধ করেন। তিনি আশা করেছিলেন, খুব দ্রুত এই দুর্গ জয় করবেন। কিন্তু অবরোধটি দশ দিন স্থায়ী হয়। দুর্গটি ৮ সেপ্টেম্বর পতন হয় এবং এর প্রতিরক্ষাকারীরা আত্মহত্যা করেন। যদিও মিৎসুনারি এই যুদ্ধে জয় পান, কিন্তু ইয়েয়াসুর বিরুদ্ধে সামগ্রিকভাবে সফল হওয়ার জন্য যে মূল্যবান সময়ের প্রয়োজন ছিল, তা তিনি হারিয়ে ফেলেন। মিৎসুনারি চেয়েছিলেন গিফু দুর্গকে একটি কৌশলগত অবস্থান হিসেবে ব্যবহার করে তোকুগাওয়া বাহিনীকে বিলম্বিত করবেন। কিন্তু ৩০ সেপ্টেম্বর দুর্গটি ইই নাওমাসা ও ফুকুশিমা মাসানোরি দখল করে নেন। যখন মিৎসুনারি জানতে পারেন যে তোকুগাওয়া ইয়েয়াসু ওসাকা দুর্গের দিকে অগ্রসর হচ্ছেন, তখন তিনি তাঁর পরিকল্পনা পরিবর্তন করেন এবং সেকিগাহারায় সরাসরি যুদ্ধের সিদ্ধান্ত নেন।
২১ অক্টোবর সেকিগাহারার যুদ্ধ শুরু হয়। ইশিদা মিৎসুনারির নেতৃত্বে ছিল পশ্চিম বাহিনী এবং তোকুগাওয়া ইয়েয়াসুর নেতৃত্বে ছিল পূর্ব বাহিনী। যুদ্ধ কিছুক্ষণের জন্য সমতা বজায় রাখে, উভয় পক্ষেই হতাহতের সংখ্যা বাড়তে থাকে। তোয়োতোমি হিদেয়োশির ভাগ্নে কোবায়াকাওয়া হিদেআকি, যিনি শুরু থেকেই বিশ্বাসঘাতকতার উদ্দেশ্যে মিৎসুনারির সঙ্গে ছিলেন, শেষ পর্যন্ত তোকুগাওয়া বাহিনীর পক্ষে চলে যান। তাঁর বাহিনী ওতানি ইয়োশিৎসুগুর অবস্থানে আক্রমণ শুরু করে। পরবর্তীতে ইয়োশিৎসুগু তাঁর একজন অনুচরকে অনুরোধ করেন তাঁকে শিরশ্ছেদ করতে। হিদেআকির এই বিশ্বাসঘাতকতার ফলে পশ্চিম বাহিনীর সম্মুখভাগ ভেঙে পড়ে। এদিকে ইই নাওমাসা শিমাজু বংশের সৈন্যদের ধাওয়া করার সময় আহত হন। কোনো সাহায্য না আসায় পশ্চিম বাহিনী সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়ে যায়। তবে মিৎসুনারি যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। পরে তাঁকে ধরা হয় এবং ৬ নভেম্বর মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।
১৬০৩ সালে সম্রাট গো-ইয়োজেই তোকুগাওয়া ইয়েয়াসুকে শোগুন উপাধি প্রদান করেন। এর মাধ্যমে তোকুগাওয়া শোগুনাত প্রতিষ্ঠিত হয়, যা দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতা ও শান্তির জন্য বিখ্যাত। ইয়েয়াসু পরে ১৬০৫ সালে নিজের ছেলে তোকুগাওয়া হিদেতাদার পক্ষে শোগুন পদ থেকে সরে দাঁড়ান। তবে তিনি তখনও প্রকৃত ক্ষমতা নিজের হাতে রাখেন।
তবে ইয়েয়াসুর সামনে তখনও একমাত্র বড় প্রতিপক্ষ ছিলেন তোয়োতোমি হিদেয়োরি। ১৬১৪ সালে উভয়ের মধ্যে উত্তেজনা চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছালে, ইয়েয়াসু ১,৬০,০০০ সৈন্য নিয়ে ওসাকা দুর্গ অভিযানে যান। এর মধ্য দিয়ে ওসাকার অবরোধের প্রথম ধাপ, অর্থাৎ শীতকালীন অবরোধ শুরু হয়। দুর্গে প্রচণ্ড গোলাবর্ষণ চললেও ওসাকা আত্মসমর্পণ করেনি।পরবর্তীতে উভয় পক্ষের মধ্যে এক অনিরাপদ চুক্তি হয়। কিন্তু পরের বছরই আবার লড়াই শুরু হয়। তেন্নোইজির যুদ্ধে পরাজয়, ওসাকা দুর্গে অগ্নিকাণ্ড এবং সানাদা ইউকিমুরার মৃত্যুর পর, হিদেয়োরি ও তাঁর মা দুর্গ জ্বলতে থাকা অবস্থায় সেপ্পুকু করেন। তাঁদের মৃত্যুর সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে বহু অভিজাত ব্যক্তি আত্মহত্যা করেন এবং অবশেষে দুর্গ আত্মসমর্পণ করে। এর মাধ্যমে তোয়োতোমি বংশের অবসান ঘটে এবং তোকুগাওয়া শাসনের বিরুদ্ধে শেষ বড় প্রতিপক্ষ দূরীভূত হয়।
তোকুগাওয়া ইয়েয়াসু ১৬১৬ সালের ১ জুন ৭৩ বছর বয়সে মারা যান। তিনিই ছিলেন জাপানের শেষ মহান ঐক্যস্থাপক।
==সেনগোকু যুগের উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব==
===জাপানের মহান ঐক্যস্থাপক===
*[[w:ওডা নোবুনাগা|ওডা নোবুনাগা]]
*[[w:তোয়োতোমি হিদেয়োশি|তোয়োতোমি হিদেয়োশি]]
*[[w:তোকুগাওয়া ইয়েয়াসু|তোকুগাওয়া ইয়েয়াসু]]
=== '''অন্যান্য দাইম্যো''' ===
*[[w:আজাই নাগামাসা|আজাই নাগামাসা]]
*[[w:চোসোকাবে মোটোচিকা|চোসোকাবে মোটোচিকা]]
*[[w:দাতে মাসামুনে|দাতে মাসামুনে]]
*[[w:হোজো সোউন|হোজো সোউন]]
*[[w:ইই নাওতোরা|ইই নাওতোরা]]
*[[w:ইমাগাওয়া ইয়োশিমোতো|ইমাগাওয়া ইয়োশিমোতো]]
*[[w:মায়েদা তোশিইয়ে|মায়েদা তোশিইয়ে]]
*[[w:মিয়োশি নাগায়োশি|মিয়োশি নাগায়োশি]]
*[[w:ওওতোমো সোওরিন|মোরি মোটোনারি]]
*[[w:ওওতোমো সোওরিন|ওওতোমো সোওরিন]]
*[[w:সাইতো দোসান|সাইতো দোসান]]
*[[w:সানাদা মাসায়ুকি|সানাদা মাসায়ুকি]]
*[[w:শিমাজু ইয়োশিহিরো|শিমাজু ইয়োশিহিরো]]
*[[wikipedia:তাচিবানা মুনেশিগে|তাচিবানা মুনেশিগে]]
*[[w:তাচিবানা গিনচিয়ো|তাচিবানা গিনচিয়ো]]
*[[w:তাকেদা শিংগেন|তাকেদা শিংগেন]]
*[[w:উএসুগি কেনশিন|উএসুগি কেনশিন]]
*[[w:উকিতা হিদেইয়ে|উকিতা হিদেইয়ে]]
===অন্যান্য উল্লেখযোগ্য ব্যক্তি===
*[[w:আকেচি মিৎসুহিদে|আকেচি মিৎসুহিদে]]
*[[w:Fukushima Masanori|ফুকুশিমা মাসানোরি]]
*[[w:ফুকুশিমা মাসানোরি|ফুমা কোতারো]]
*[[w:হাত্তোরি হানজো|হাত্তোরি হানজো]]
*[[w:হোন্দা তাদাকাতসু|হোন্দা তাদাকাতসু]]
*[[w:ইই নাওমাসা|ইই নাওমাসা]]
*[[w:ইশিদা মিৎসুনারি|ইশিদা মিৎসুনারি]]
*[[w:কাতো কিয়োমাসা|কাতো কিয়োমাসা]]
*[[w:মায়েদা কেইজি|মায়েদা কেইজি]]
*[[w:মিয়ামোতো মুসাশি|মিয়ামোতো মুসাশি]]
*[[w:মোরি রানমারু|মোরি রানমারু]]
*[[w:নাওয়ে কানেতসুগু|নাওয়ে কানেতসুগু]]
*[[w:ওডা নোবুতাদা|ওডা নোবুতাদা]]
*[[w:সাইকা মাগোইচি|সাইকা মাগোইচি]]
*[[w:সানাদা ইউকিমুরা|সানাদা ইউকিমুরা]]
*[[w:সাসাকি কোজিরো|সাসাকি কোজিরো]]
*[[w:শিবাতা কাতসুইয়ে|শিবাতা কাতসুইয়ে]]
*[[w:শিমা সাকোন|শিমা সাকোন]]
<noinclude>{{Japanese HistoryTOC}}</noinclude>
7j1nxh2txj5nmivqltpxcfmat6r6bw3
84659
84658
2025-06-17T18:42:38Z
Asikur.rahman25
11164
/* অন্যান্য উল্লেখযোগ্য ব্যক্তি */
84659
wikitext
text/x-wiki
সেনগোকু যুগ (সেনগোকু জিদাই) বা জাপানের ইতিহাসে যুদ্ধবিগ্রহের যুগ ছিল একটি অস্থির সময়। এই সময়ে সমাজে বিশৃঙ্খলা, রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র এবং প্রায় নিরবচ্ছিন্ন সামরিক সংঘর্ষ চলেছিল। এই যুগ আনুমানিক ১৫শ শতকের মাঝামাঝি থেকে ১৭শ শতকের শুরু পর্যন্ত স্থায়ী ছিল। "সেনগোকু" নামটি জাপানি ইতিহাসবিদরা চীনের ইতিহাসে যুদ্ধরত রাজ্য যুগ এর অনুরূপ এক সময়ের ইঙ্গিত করে ব্যবহার করেন। চীনের ঐ সময় যেমন একীকরণের দিকে ধাবিত হয়েছিল, তেমনি জাপানের সেনগোকু যুগও একসময়ে তোকুগাওয়া শোগুনতন্ত্রের মাধ্যমে রাজনৈতিক ক্ষমতার একীকরণে গিয়ে শেষ হয়।যদিও আশিকাগা শোগুনতন্ত্র কামাকুরা বাকুফুর কাঠামো বজায় রেখেছিল এবং ১২৩২ সালে হোজো কর্তৃক প্রণীত জোএই বিধিমালার ভিত্তিতে এক যোদ্ধা সরকার প্রতিষ্ঠা করেছিল তবে তারা অনেক দাইমিওর আনুগত্য অর্জন করতে ব্যর্থ হয়। বিশেষ করে যেসব দাইমিওর অঞ্চল কিয়োটো থেকে দূরে ছিল, তারা এই সরকারের প্রতি অনুগত ছিল না। চীনের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়ার ফলে অর্থনীতি বিকশিত হতে থাকে এবং বাজার ও বাণিজ্যিক শহর গড়ে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে মুদ্রার ব্যবহার ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। কৃষিতে উন্নতি এবং ছোট আকারের ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসারের ফলে সমাজের বিভিন্ন স্তরে স্থানীয় স্বায়ত্তশাসনের আকাঙ্ক্ষা তৈরি হয়। ১৫শ শতকের শুরু থেকেই ভূমিকম্প ও দুর্ভিক্ষের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ মানুষকে চরম দুর্ভোগে ফেলেছিল। ঋণের বোঝা ও করের ভারে ক্লান্ত কৃষকেরা মাঝে মাঝেই সশস্ত্র বিদ্রোহে জড়িয়ে পড়ত। ১৪৬৭ থেকে ১৪৭৭ সালের মধ্যে সংঘটিত ওনিন যুদ্ধ যা মূলত আর্থিক সংকট এবং শোগুন উত্তরাধিকার নিয়ে বিরোধের কারণে শুরু হয়েছিল সাধারণভাবে সেনগোকু যুগের সূচনা হিসেবে ধরা হয়। হোসোকাওয়া বংশের "পূর্বাঞ্চলীয়" বাহিনী এবং ইয়ামানা বংশের "পশ্চিমাঞ্চলীয়" বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। কিয়োটো শহর ও তার আশপাশে এই যুদ্ধ প্রায় ১১ বছর ধরে চলে এবং পরে তা জাপানের অন্যান্য প্রদেশেও ছড়িয়ে পড়ে।
==গেকোকুজো==
এই বিশৃঙ্খলার ফলে কেন্দ্রীয় কর্তৃত্ব আরও দুর্বল হয়ে পড়ে। সারা জাপানে স্থানীয় শাসকরা বা দাইমিওরা সেই শূন্যতা পূরণে এগিয়ে আসে। এই ক্ষমতা পরিবর্তনের সময় অনেক পুরনো প্রভাবশালী বংশ যেমন তাকেদা এবং ইমাগাওয়া যারা কামাকুরা ও মুরোমাচি শাসনামলে ক্ষমতায় ছিল। তারা নিজেদের প্রভাব আরও বিস্তৃত করতে সক্ষম হয়। তবে অনেক বংশের অবস্থান দুর্বল হয়ে পড়ে এবং পরবর্তীতে যোগ্য অধস্তনদের দ্বারা তারা ক্ষমতা হারায়। এই ধরনের সামাজিক মেধানির্ভর পরিবর্তন যেখানে দক্ষ অধস্তনেরা দুর্বল অভিজাতদের উৎখাত করে সেটিকে বলা হয় গেকোকুজো , যার অর্থ "নিম্নপদস্থ ব্যক্তি ঊর্ধ্বতনকে জয় করে"।এর অন্যতম প্রাথমিক উদাহরণ ছিল হোজো সওউন যিনি অপেক্ষাকৃত সাধারণ পরিবার থেকে উঠে এসেছিলেন এবং ১৪৯৩ সালে ইজু প্রদেশে ক্ষমতা দখল করেন। সওউনের অর্জনের ভিত্তিতে, পরবর্তী হোজো বংশ কানতো অঞ্চলে একটি বড় শক্তি হিসেবে টিকে ছিল যতদিন না তোয়োতোমি হিদেয়োশি সেনগোকু যুগের শেষদিকে তাদের দমন করেন। অন্যান্য উল্লেখযোগ্য উদাহরণ হলো হোসোকাওয়া বংশকে মিওশি বংশের প্রতিস্থাপন, শিবা বংশকে ওডা বংশের স্থান দখল এবং টোকি বংশকে সাইতো বংশের উৎখাত। এই সময়ে সুসংগঠিত ধর্মীয় গোষ্ঠীগুলিও রাজনৈতিক শক্তি অর্জন করে। তারা কৃষকদের একত্রিত করে দাইমিওদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ও বিদ্রোহে নেতৃত্ব দেয়। বৌদ্ধ সত্য নিখুঁত ভূমি মতবাদের ভিক্ষুরা বহু ইক্কু-ইক্কি গঠন করে। এর মধ্যে সবচেয়ে সফলটি ছিল কাগা প্রদেশে যা প্রায় একশ বছর পর্যন্ত স্বাধীনভাবে টিকে ছিল।
==ওডা নোবুনাগার উত্থান==
[[File:odanobunaga.jpg|thumb|300px|ওডা নোবুনাগা]]
১৬শ শতকের শেষার্ধে বেশ কিছু দাইমিও এতটাই শক্তিশালী হয়ে উঠেছিল যে তারা মুরোমাচি বাকুফুকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করতে পারত বা একেবারে উৎখাত করত। ১৫৬০ সালে ইমাগাওয়া ইয়োশিমোতো বাকুফু উৎখাতের চেষ্টা করেন। তিনি রাজধানীর দিকে অগ্রসর হচ্ছিলেন কিন্তু ওকেহাজামা যুদ্ধে ওডা নোবুনাগার হাতে পরাজিত হয়ে অপমানজনকভাবে শেষ হয় তার অভিযান। ১৫৬২ সালে, নোবুনাগার পূর্বপ্রান্তে অবস্থিত তোকুগাওয়া বংশ ইমাগাওয়া বংশের প্রভাব থেকে স্বাধীনতা লাভ করে এবং নোবুনাগার সঙ্গে জোট বাঁধে। এই জোটের ফলে নোবুনাগার পূর্ব দিকের এলাকা আগ্রাসনের হাত থেকে নিরাপদ থাকে। এরপর তিনি পশ্চিম দিকে তার বাহিনী পাঠান। ১৫৬৫ সালে, মাতসুনাগা ও মিওশি বংশের একটি জোট ষড়যন্ত্র করে ত্রয়োদশ আশিকাগা শোগুন আশিকাগা ইয়োশিতেরুকে হত্যা করে। কিন্তু অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে তারা দ্রুত ক্ষমতা দখল করে নিজেদের অবস্থান বৈধ করতে পারেনি। শেষমেশ ১৫৬৮ সালে তারা ইয়োশিতেরুর চাচাতো ভাই আশিকাগা ইয়োশিহিদেকে নতুন শোগুন হিসেবে বসাতে সক্ষম হয়। তবে তারা কিয়োটোতে প্রবেশ করতে পারেনি এবং সম্রাটের কাছ থেকে স্বীকৃতি পায়নি। এর ফলে শোগুন উত্তরাধিকার প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়ে। এরপর বাকুফুর কিছু অনুগত যাদের নেতৃত্বে ছিলেন হোসোকাওয়া ফুজিতাকা, ওডা নোবুনাগার সঙ্গে আলোচনায় বসেন। তারা আশিকাগা ইয়োশিআকিকে যিনি ইয়োশিতেরুর ছোট ভাই, শোগুন হিসেবে বসানোর জন্য নোবুনাগার সাহায্য চান।
ওডা নোবুনাগা বহু বছর ধরে এই ধরনের একটি সুযোগের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। তিনি উত্তরের ওমি প্রদেশে আসাই বংশের সঙ্গে জোট গড়ে তোলেন এবং পার্শ্ববর্তী মিনো প্রদেশ জয় করেন। এরপর তিনি কিয়োটোর দিকে অগ্রসর হন। দক্ষিণ ওমিতে রোক্কাকু বংশকে পরাজিত করার পর তিনি মাতসুনাগা বংশকে আত্মসমর্পণে বাধ্য করেন এবং মিওশি বংশকে সেতসু প্রদেশে পিছু হটতে বাধ্য করেন। এরপর তিনি রাজধানীতে প্রবেশ করেন এবং সম্রাটের কাছ থেকে ইয়োশিআকির জন্য আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি আদায় করেন। ইয়োশিআকি হন ১৫তম আশিকাগা শোগুন।
তবে নোবুনাগার লক্ষ্য ছিল না মুরোমাচি বাকুফুকে সেবা করা। বরং তিনি কানসাই অঞ্চলে নিজের দখল আরও শক্তিশালী করার দিকে মনোযোগ দেন। প্রতিদ্বন্দ্বী দাইমিও অনমনীয় বৌদ্ধ ভিক্ষু এবং শত্রুভাবাপন্ন বণিকদের প্রতিরোধ তিনি নির্মমভাবে দমন করেন। দ্রুতই তিনি একজন কঠোর ও অদম্য শত্রু হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। রাজনৈতিক ও সামরিক কৌশলের সহায়তায় তিনি অর্থনৈতিক সংস্কার শুরু করেন। তিনি মন্দির ও বণিক সংগঠনের ঐতিহ্যগত একচেটিয়া অধিকার বাতিল করে বাণিজ্যের প্রতিবন্ধকতা দূর করেন এবং উদ্যোগকে উৎসাহিত করতে শুরু করেন উন্মুক্ত বাজার ব্যবস্থা যা পরিচিত ছিল রাকুইচি-রাকুজা নামে।
১৫৭৩ সালের মধ্যে তিনি উত্তর সীমান্তে হুমকি সৃষ্টি করা আসাকুরা ও আজাই বংশের জোট ধ্বংস করেন। কিয়োটোর কাছের হিয়েই পর্বতে অবস্থিত তেনদাই বৌদ্ধদের সামরিক গোষ্ঠীকেও নিশ্চিহ্ন করেন। এছাড়া তাকেদা শিংগেন যখন টোকুগাওয়া বংশকে পরাজিত করে ওডার অঞ্চলে আক্রমণের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন ঠিক তখনই হঠাৎ অসুস্থ হয়ে মারা যান। ফলে, নোবুনাগা একটি বড় সংঘাত এড়াতে সক্ষম হন।
তাকেদা শিংগেনের মৃত্যুর পরেও কিছু শক্তিশালী দাইমিও রয়ে গিয়েছিলেন যারা নোবুনাগার প্রতিরোধ করতে পারতেন। কিন্তু তারা কেউই কিয়োটোর এত কাছে ছিলেন না যে রাজনৈতিকভাবে হুমকি হতে পারেন। ফলে, ওডা বংশের অধীনে জাপান একীভূত হওয়াটা তখন সময়ের ব্যাপার বলে মনে হচ্ছিল।
নোবুনাগার শত্রু কেবল অন্যান্য সেনগোকু দাইমিও নয় বরং জোদো শিনশু মতবাদের অনুসারী ইক্কু-ইক্কি আন্দোলনের অংশগ্রহণকারীরাও ছিলেন। তাদের নেতা ছিলেন কেনন্যো। নোবুনাগা টানা দশ বছর ধরে তার দুর্গ আক্রমণ করলেও কেনন্যো তা সহ্য করে টিকে ছিলেন। একাদশ বছরে নোবুনাগা অবশেষে কেনন্যোকে বহিষ্কার করেন। তবে কেনন্যোর উসকানিতে হওয়া বিদ্রোহ নোবুনাগার এলাকায় ব্যাপক ক্ষতি করে। এই দীর্ঘ সংঘাত পরিচিত ছিল ইশিয়ামা হোঙ্গানজি যুদ্ধ নামে।
বৌদ্ধ ধর্মকে দমন করার জন্য নোবুনাগা খ্রিষ্টধর্মকে সমর্থন দেন। ইউরোপ থেকে আসা ধর্মপ্রচারকদের মাধ্যমে জাপানে অনেক নতুন সংস্কৃতি প্রবেশ করে। এর মধ্যে ছিল নতুন খাদ্যদ্রব্য, চিত্রাঙ্কনের নতুন পদ্ধতি, জ্যোতির্বিজ্ঞান, ভূগোল, চিকিৎসাবিজ্ঞান এবং নতুন মুদ্রণ প্রযুক্তি।
==জাপানের একীকরণ==
প্রায় দেড় শতাব্দী ধরে রাজনৈতিক অস্থিরতা ও যুদ্ধের পর ওয়ারি প্রদেশের (বর্তমান আইচি প্রিফেকচার) একজন সাধারণ সামন্তপ্রভু ওডা নোবুনাগা জাপানের কেন্দ্রীয় অঞ্চলে আধিপত্য বিস্তার করেন। কিন্তু ১৫৮২ সালে তাঁরই একজন জেনারেল আকেচি মিৎসুহিদে বিশ্বাসঘাতকতা করে নোবুনাগাকে হত্যা করেন। এই ঘটনার ফলে নোবুনাগার অন্যতম বিশ্বস্ত জেনারেল তোয়োতোমি হিদেয়োশি যিনি একজন সাধারণ আশিগারু (পদাতিক) থেকে উঠে এসেছিলেন, তাঁর উত্তরসূরি হিসেবে আত্মপ্রকাশের সুযোগ পান। হিদেয়োশি বাকি সামন্তপ্রভুদের নিয়ন্ত্রণে আনেন এবং যদিও তাঁর সাধারণ জন্মের কারণে তিনি "সেই তাইশোগুন" উপাধি লাভে অযোগ্য ছিলেন তিনি "কাম্পাকু" (প্রধান উপদেষ্টা) হিসেবে শাসন করেন। ১৫৯২ সালে তাঁর সৎ ভাই তোয়োতোমি হিদেনাগার মৃত্যুর পর, হিদেয়োশি তাঁর ভাগ্নে তোয়োতোমি হিদেতসুগুকে কামপাকু হিসেবে নিয়োগ দেন।
তবে একই বছরে হিদেয়োশি কোরিয়ায় অভিযান শুরু করেন যা ইমজিন যুদ্ধ নামে পরিচিত। এই যুদ্ধ ১৫৯২ থেকে ১৫৯৮ সাল পর্যন্ত চলে যার মধ্যে ১৫৯৬ সালে একটি সংক্ষিপ্ত যুদ্ধবিরতি হয়। শেষ পর্যন্ত জাপান কোরিয়ার উপদ্বীপ দখল করতে ব্যর্থ হয়।
দেশের অভ্যন্তরে, হিদেয়োশি ও হিদেতসুগুর সম্পর্ক অবনতি ঘটতে থাকে। হিদেতসুগুর বিরুদ্ধে অনেক হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ ওঠে যা অন্যায্য বলে বিবেচিত হয়। ১৫৯৫ সালে, তাঁর বিরুদ্ধে অভ্যুত্থানের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনা হয় এবং হিদেয়োশির আদেশে তিনি কোয়া পর্বতে সেপ্পুকু করতে বাধ্য হন। পরবর্তীতে হিদেতসুগুর পরিবারকেও হিদেয়োশির আদেশে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয় যা অনেক সামন্তপ্রভুর মধ্যে বিতর্ক সৃষ্টি করে। এই ঘটনাগুলি সেকিগাহারার যুদ্ধের পর তোয়োতোমি বংশের কর্তৃত্বের পতনের দিকে নিয়ে যায়।
১৫৯৮ সালে হিদেয়োশির মৃত্যুতে তিনি কোনো যোগ্য উত্তরসূরি রেখে যাননি। ফলে দেশ আবার রাজনৈতিক অস্থিরতায় নিমজ্জিত হয় এবং এই সুযোগে তোকুগাওয়া ইয়েয়াসু ক্ষমতা দখলের উদ্যোগ নেন।
==সেকিগাহারা, এডো শোগুনাতের প্রতিষ্ঠা ও ওসাকা==
হিদেয়োশির মৃত্যুর আগে তিনি তোকুগাওয়া ইয়েয়াসু (কান্তো অঞ্চল), উকিতা হিদেইয়ে (বিজেন ও মিমাসাকা), মায়েদা তোশিইয়ে (কাগা ও এচু), উএসুগি কাগেকাতসু (ইওনেজাওয়া), মোরি তেরুমোতো (চোশু) এবং কোবায়াকাওয়া তাকাকাগেকে "পাঁচ প্রবীণ" পরিষদের সদস্য হিসেবে নিয়োগ দেন। এই পরিষদ হিদেয়োশির পুত্র ও উত্তরসূরি তোয়োতোমি হিদেওরির পক্ষে রিজেন্ট হিসেবে শাসন করত। তবে ১৫৯৮ সালে হিদেয়োশির মৃত্যুর পর, পরিষদের মধ্যে সম্পর্ক অবনতি ঘটে এবং ১৫৯৯ সালে মায়েদা তোশিইয়ের মৃত্যুর পর দ্বন্দ্ব শুরু হয়। দুইটি পক্ষ গঠিত হয়: "বুনচিহা" (যারা প্রশাসনিক শাসন চায়) এবং "বুন্দানহা" (যারা সামরিক শাসন সমর্থন করে)।
ইয়েয়াসু বুন্দানহা দলের সদস্য ছিলেন এবং তাঁর প্রভাব ছিল ব্যাপক। তিনি রাজনৈতিক বিবাহের মাধ্যমে জাপানজুড়ে জোট গঠন করেন, যার মধ্যে তাঁর পুত্র তাদাতেরুকে ডাতে মাসামুনের কন্যা ইরোহাহিমের সঙ্গে বিবাহ দেন। এই বিবাহগুলি পরিষদের সদস্যদের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি করে। কারণ তারা বিশ্বাস করতেন যে এই ধরনের বিবাহের জন্য পরিষদের অনুমোদন প্রয়োজন। সাওয়ায়ামা দুর্গের সামন্তপ্রভু ইশিদা মিৎসুনারি তখন তোয়োতোমি অনুগতদের নিয়ে একটি জোট গঠন করেন যার মধ্যে হিদেইয়ে, কাগেকাতসু এবং তেরুমোতো ছিলেন। তেরুমোতো ওসাকা দুর্গে অবস্থান করেন ফলে মিৎসুনারি মাঠের কমান্ডার হন। তবে মিৎসুনারি ও অন্যান্য তোয়োতোমি জেনারেলদের মধ্যে দ্বন্দ্ব দেখা দেয়, যার মধ্যে কুমামোটো ডোমেইনের কাতো কিয়োমাসাও ছিলেন। এই বিভাজন ইয়েয়াসুকে অনেক সামন্তপ্রভুকে তাঁর পক্ষে টানতে সাহায্য করে।
[[File:Sekigaharascreen.jpg|left|thumb|518x518px|সেকিগাহারার যুদ্ধের একটি এডো যুগের পর্দা]] ১৬০০ সালে উএসুগি কাগেকাতসু তোকুগাওয়া ইয়েয়াসুর বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে বিদ্রোহ করেন এবং আইজুতে একটি দুর্গ নির্মাণ শুরু করেন। ইয়েয়াসু তাঁর কাছে ব্যাখ্যা চান কিন্তু কাগেকাতসু তা অস্বীকার করেন। কাগেকাতসুর উদ্দেশ্য ছিল ইয়েয়াসুকে ব্যস্ত রেখে মিৎসুনারিকে পশ্চিমে আক্রমণ করতে সুযোগ করে দেওয়া। তবে ইয়েয়াসু এটি পূর্বাভাস করেছিলেন এবং তিনি নিজে কাগেকাতসুর বিরুদ্ধে না গিয়ে মোগামি ইয়োশিয়াকি ও ডাতে মাসামুনেকে তোহোকু অঞ্চলে কাগেকাতসুর বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যেতে বলেন। ১৬০০ সালের ২১ অক্টোবর, ইশিদা মিৎসুনারির নেতৃত্বাধীন পশ্চিম বাহিনী ও তোকুগাওয়া ইয়েয়াসুর নেতৃত্বাধীন পূর্ব বাহিনীর মধ্যে সেকিগাহারার যুদ্ধে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এই যুদ্ধ তোকুগাওয়া বাহিনীর নিরঙ্কুশ বিজয়ে শেষ হয়। যুদ্ধের পর, ১৬০৩ সালে, ইয়েয়াসু "সেই তাইশোগুন" উপাধি লাভ করেন এবং এডো (বর্তমান টোকিও) শহরে তোকুগাওয়া শোগুনাত প্রতিষ্ঠা করেন। এই বিজয়ের মাধ্যমে, তোয়োতোমি বংশের অবশিষ্ট শক্তি ধ্বংস হয় এবং জাপানে তোকুগাওয়া শাসনের সূচনা হয়, যা পরবর্তী দুই শতাব্দী ধরে স্থিতিশীলতা ও শান্তি বজায় রাখে।
এদিকে, ইশিদা মিৎসুনারি অবশেষে তাঁর অভিযান শুরু করেন। ২৭ আগস্ট তিনি ফুশিমি দুর্গ অবরোধ করেন। তিনি আশা করেছিলেন, খুব দ্রুত এই দুর্গ জয় করবেন। কিন্তু অবরোধটি দশ দিন স্থায়ী হয়। দুর্গটি ৮ সেপ্টেম্বর পতন হয় এবং এর প্রতিরক্ষাকারীরা আত্মহত্যা করেন। যদিও মিৎসুনারি এই যুদ্ধে জয় পান, কিন্তু ইয়েয়াসুর বিরুদ্ধে সামগ্রিকভাবে সফল হওয়ার জন্য যে মূল্যবান সময়ের প্রয়োজন ছিল, তা তিনি হারিয়ে ফেলেন। মিৎসুনারি চেয়েছিলেন গিফু দুর্গকে একটি কৌশলগত অবস্থান হিসেবে ব্যবহার করে তোকুগাওয়া বাহিনীকে বিলম্বিত করবেন। কিন্তু ৩০ সেপ্টেম্বর দুর্গটি ইই নাওমাসা ও ফুকুশিমা মাসানোরি দখল করে নেন। যখন মিৎসুনারি জানতে পারেন যে তোকুগাওয়া ইয়েয়াসু ওসাকা দুর্গের দিকে অগ্রসর হচ্ছেন, তখন তিনি তাঁর পরিকল্পনা পরিবর্তন করেন এবং সেকিগাহারায় সরাসরি যুদ্ধের সিদ্ধান্ত নেন।
২১ অক্টোবর সেকিগাহারার যুদ্ধ শুরু হয়। ইশিদা মিৎসুনারির নেতৃত্বে ছিল পশ্চিম বাহিনী এবং তোকুগাওয়া ইয়েয়াসুর নেতৃত্বে ছিল পূর্ব বাহিনী। যুদ্ধ কিছুক্ষণের জন্য সমতা বজায় রাখে, উভয় পক্ষেই হতাহতের সংখ্যা বাড়তে থাকে। তোয়োতোমি হিদেয়োশির ভাগ্নে কোবায়াকাওয়া হিদেআকি, যিনি শুরু থেকেই বিশ্বাসঘাতকতার উদ্দেশ্যে মিৎসুনারির সঙ্গে ছিলেন, শেষ পর্যন্ত তোকুগাওয়া বাহিনীর পক্ষে চলে যান। তাঁর বাহিনী ওতানি ইয়োশিৎসুগুর অবস্থানে আক্রমণ শুরু করে। পরবর্তীতে ইয়োশিৎসুগু তাঁর একজন অনুচরকে অনুরোধ করেন তাঁকে শিরশ্ছেদ করতে। হিদেআকির এই বিশ্বাসঘাতকতার ফলে পশ্চিম বাহিনীর সম্মুখভাগ ভেঙে পড়ে। এদিকে ইই নাওমাসা শিমাজু বংশের সৈন্যদের ধাওয়া করার সময় আহত হন। কোনো সাহায্য না আসায় পশ্চিম বাহিনী সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়ে যায়। তবে মিৎসুনারি যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। পরে তাঁকে ধরা হয় এবং ৬ নভেম্বর মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।
১৬০৩ সালে সম্রাট গো-ইয়োজেই তোকুগাওয়া ইয়েয়াসুকে শোগুন উপাধি প্রদান করেন। এর মাধ্যমে তোকুগাওয়া শোগুনাত প্রতিষ্ঠিত হয়, যা দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতা ও শান্তির জন্য বিখ্যাত। ইয়েয়াসু পরে ১৬০৫ সালে নিজের ছেলে তোকুগাওয়া হিদেতাদার পক্ষে শোগুন পদ থেকে সরে দাঁড়ান। তবে তিনি তখনও প্রকৃত ক্ষমতা নিজের হাতে রাখেন।
তবে ইয়েয়াসুর সামনে তখনও একমাত্র বড় প্রতিপক্ষ ছিলেন তোয়োতোমি হিদেয়োরি। ১৬১৪ সালে উভয়ের মধ্যে উত্তেজনা চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছালে, ইয়েয়াসু ১,৬০,০০০ সৈন্য নিয়ে ওসাকা দুর্গ অভিযানে যান। এর মধ্য দিয়ে ওসাকার অবরোধের প্রথম ধাপ, অর্থাৎ শীতকালীন অবরোধ শুরু হয়। দুর্গে প্রচণ্ড গোলাবর্ষণ চললেও ওসাকা আত্মসমর্পণ করেনি।পরবর্তীতে উভয় পক্ষের মধ্যে এক অনিরাপদ চুক্তি হয়। কিন্তু পরের বছরই আবার লড়াই শুরু হয়। তেন্নোইজির যুদ্ধে পরাজয়, ওসাকা দুর্গে অগ্নিকাণ্ড এবং সানাদা ইউকিমুরার মৃত্যুর পর, হিদেয়োরি ও তাঁর মা দুর্গ জ্বলতে থাকা অবস্থায় সেপ্পুকু করেন। তাঁদের মৃত্যুর সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে বহু অভিজাত ব্যক্তি আত্মহত্যা করেন এবং অবশেষে দুর্গ আত্মসমর্পণ করে। এর মাধ্যমে তোয়োতোমি বংশের অবসান ঘটে এবং তোকুগাওয়া শাসনের বিরুদ্ধে শেষ বড় প্রতিপক্ষ দূরীভূত হয়।
তোকুগাওয়া ইয়েয়াসু ১৬১৬ সালের ১ জুন ৭৩ বছর বয়সে মারা যান। তিনিই ছিলেন জাপানের শেষ মহান ঐক্যস্থাপক।
==সেনগোকু যুগের উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব==
===জাপানের মহান ঐক্যস্থাপক===
*[[w:ওডা নোবুনাগা|ওডা নোবুনাগা]]
*[[w:তোয়োতোমি হিদেয়োশি|তোয়োতোমি হিদেয়োশি]]
*[[w:তোকুগাওয়া ইয়েয়াসু|তোকুগাওয়া ইয়েয়াসু]]
=== '''অন্যান্য দাইম্যো''' ===
*[[w:আজাই নাগামাসা|আজাই নাগামাসা]]
*[[w:চোসোকাবে মোটোচিকা|চোসোকাবে মোটোচিকা]]
*[[w:দাতে মাসামুনে|দাতে মাসামুনে]]
*[[w:হোজো সোউন|হোজো সোউন]]
*[[w:ইই নাওতোরা|ইই নাওতোরা]]
*[[w:ইমাগাওয়া ইয়োশিমোতো|ইমাগাওয়া ইয়োশিমোতো]]
*[[w:মায়েদা তোশিইয়ে|মায়েদা তোশিইয়ে]]
*[[w:মিয়োশি নাগায়োশি|মিয়োশি নাগায়োশি]]
*[[w:ওওতোমো সোওরিন|মোরি মোটোনারি]]
*[[w:ওওতোমো সোওরিন|ওওতোমো সোওরিন]]
*[[w:সাইতো দোসান|সাইতো দোসান]]
*[[w:সানাদা মাসায়ুকি|সানাদা মাসায়ুকি]]
*[[w:শিমাজু ইয়োশিহিরো|শিমাজু ইয়োশিহিরো]]
*[[wikipedia:তাচিবানা মুনেশিগে|তাচিবানা মুনেশিগে]]
*[[w:তাচিবানা গিনচিয়ো|তাচিবানা গিনচিয়ো]]
*[[w:তাকেদা শিংগেন|তাকেদা শিংগেন]]
*[[w:উএসুগি কেনশিন|উএসুগি কেনশিন]]
*[[w:উকিতা হিদেইয়ে|উকিতা হিদেইয়ে]]
===অন্যান্য উল্লেখযোগ্য ব্যক্তি===
*[[w:আকেচি মিৎসুহিদে|আকেচি মিৎসুহিদে]]
*[[w:ফুকুশিমা মাসানোরি|ফুকুশিমা মাসানোরি]]
*[[w:ফুকুশিমা মাসানোরি|ফুমা কোতারো]]
*[[w:হাত্তোরি হানজো|হাত্তোরি হানজো]]
*[[w:হোন্দা তাদাকাতসু|হোন্দা তাদাকাতসু]]
*[[w:ইই নাওমাসা|ইই নাওমাসা]]
*[[w:ইশিদা মিৎসুনারি|ইশিদা মিৎসুনারি]]
*[[w:কাতো কিয়োমাসা|কাতো কিয়োমাসা]]
*[[w:মায়েদা কেইজি|মায়েদা কেইজি]]
*[[w:মিয়ামোতো মুসাশি|মিয়ামোতো মুসাশি]]
*[[w:মোরি রানমারু|মোরি রানমারু]]
*[[w:নাওয়ে কানেতসুগু|নাওয়ে কানেতসুগু]]
*[[w:ওডা নোবুতাদা|ওডা নোবুতাদা]]
*[[w:সাইকা মাগোইচি|সাইকা মাগোইচি]]
*[[w:সানাদা ইউকিমুরা|সানাদা ইউকিমুরা]]
*[[w:সাসাকি কোজিরো|সাসাকি কোজিরো]]
*[[w:শিবাতা কাতসুইয়ে|শিবাতা কাতসুইয়ে]]
*[[w:শিমা সাকোন|শিমা সাকোন]]
<noinclude>{{Japanese HistoryTOC}}</noinclude>
je5wepgxayn8x4nhunjn4q7mpozaue6
রন্ধনপ্রণালী আলোচনা:শাহী ডাল মাখনি
105
27002
84750
83474
2025-06-18T00:22:39Z
Mehedi Abedin
7113
Mehedi Abedin [[রন্ধনপ্রণালী আলোচনা:শাহী দাল মাখনি]] কে [[রন্ধনপ্রণালী আলোচনা:শাহী ডাল মাখনি]] শিরোনামে স্থানান্তর করেছেন
83474
wikitext
text/x-wiki
{{আলাপ পাতা}}
{{আলাপ পাতা/উইকিবই লিখন প্রতিযোগিতা ২০২৫}}
8vxn9zum7n3tju9ayrerhr25vm4kljv
আধুনিক বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস/সাধারণ নাট্যশালা প্রতিষ্ঠার পূর্ববর্তী নাট্যশালা
0
27167
84650
2025-06-17T15:05:17Z
Jonoikobangali
676
"নাট্যরচনার সঙ্গে নাট্যশালার যোগ অবিচ্ছেদ্য। কারণ নাটক অভিনয়ের মুখাপেক্ষী এবং নাটকের অভিনয় নাট্যমঞ্চেই হয়ে থাকে। কলকাতায় ইংরেজ বণিক গোষ্ঠীই সর্বপ্রথম নাট্যশালার..." দিয়ে পাতা তৈরি
84650
wikitext
text/x-wiki
নাট্যরচনার সঙ্গে নাট্যশালার যোগ অবিচ্ছেদ্য। কারণ নাটক অভিনয়ের মুখাপেক্ষী এবং নাটকের অভিনয় নাট্যমঞ্চেই হয়ে থাকে। কলকাতায় ইংরেজ বণিক গোষ্ঠীই সর্বপ্রথম নাট্যশালার স্থাপন করেছিল। এগুলি ইংরেজি নাটক অথবা সংস্কৃত নাটকের ইংরেজি অনুবাদ অভিনীত হত। অষ্টাদশ শতকের শেষে গেরাসিম লেবেদভের উদ্যোগে একটি বাংলা নাট্যশালা স্থাপিত হলেও সেটি বেশিদিন চলেনি। উনিশ শতকের মধ্যভাগে প্রথমে ধনী ব্যক্তিদের পৃষ্ঠপোষকতায় অভিজাতবর্গের বিনোদনের জন্য একাধিক নাট্যশালা গড়ে ওঠে। পরে ১৮৭২ সালে স্থাপিত হয় প্রথম সাধারণ নাট্যশালা ন্যাশনাল থিয়েটার।
==প্লে হাউস ও অন্যান্য ইংরেজি নাট্যশালা==
১৭৫৩ সালে প্রতিষ্ঠিত প্লে হাউস হল কলকাতায় প্রতিষ্ঠিত প্রথম নাট্যশালা। এখানে ইংরেজি নাটকেরই অভিনয় চলত। এরপর ১৭৭৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ক্যালকাটা থিয়েটার। এখানে ইংরেজি নাটকের পাশাপাশি কালিদাসের ''অভিজ্ঞানশাকুন্তলম্'' নাটকের ইংরেজি অনুবাদও অভিনীত হয়েছিল। পরবর্তী ইংরেজি নাট্যশালাগুলির মধ্যে ব্রিস্টো থিয়েটার, এথনিয়াম, চৌরঙ্গী থিয়েটার, খিদিরপুর থিয়েটার, দমদম থিয়েটার, বৈঠকখানা থিয়েটার, সাঁসুচি থিয়েটার প্রভৃতির নাম উল্লেখযোগ্য। শিক্ষিত বাঙালিরা এইসব নাট্যশালায় অভিনয় দেখতে যেতেন এবং এখানেই পাশ্চাত্য নাট্যকলা সম্পর্কে তাঁদের ঔৎসুক্য জেগে ওঠে। এরই ফলে বাংলা নাট্যশালা স্থাপনে আগ্রহী হয়ে ওঠেন বাঙালি নাট্যরসিকেরা।
==গেরাসিম লেবেদেভ ও বেঙ্গলি থিয়েটার==
কিন্তু প্রথম বাংলা নাট্যশালা কোনও বাঙালির কীর্তি নয়। গেরাসিম লেবেদেভ নামে এক রাশিয়ান পর্যটক ১৭৯৫ সালে ২৫ নং ডোমতলায় (বর্তমানে এজরা স্ট্রিট) বেঙ্গলি থিয়েটার নামে একটি নাট্যশালা গড়ে তোলেন। এখানে ''The Disguise'' ও ''Love is the Best Doctor'' নামে দুটি ইংরেজি নাটকের বঙ্গানুবাদ অভিনীত হয়েছিল। বাংলা অনুবাদে তাঁকে সাহায্য করেছিলেন গোলোকনাথ দাস নামে এক পণ্ডিত। কিন্তু এই নাট্যশালা স্থায়ী হয়নি। ১৭৯৬ সালের মার্চ মাসে এখানে সর্বশেষ নাট্যাভিনয় আয়োজিত হয়।
==হিন্দু থিয়েটার ও নবীন বসুর বাড়ির নাট্যশালা==
এরপর প্রায় চল্লিশ বছর বাংলা নাটক অভিনয়ের কথা শোনা যায়নি। ১৮৩১ সালে প্রসন্নকুমার ঠাকুর যে হিন্দু থিয়েটার স্থাপন করেছিলেন, তাতে ইংরেজি নাটক এবং সংস্কৃত ''উত্তররামচরিত'' নাটকের ইংরেজি অনুবাদ ছাড়া অন্য কোনও নাটক অভিনীত হয়নি। এরপর বাংলা নাটকের অভিনয় হয় শ্যামবাজারে নবীনচন্দ্র বসুর বাড়িতে। ১৮৩৫ সালের অক্টোবর মাসে এখানে বিদ্যাসুন্দরের নাট্যরূপ অভিনীত হয়। সমসাময়িক তথ্য থেকে জানা যায়, সেই অভিনয়ে বিদ্যাসুন্দরের গান এবং স্ত্রী-চরিত্রে অভিনেত্রীদের অভিনয় বিশেষ প্রশংসিত হয়েছিল।
==ওরিয়েন্টাল থিয়েটার==
কিন্তু ততদিনে বাঙালি শেকসপিয়রের সঙ্গে পরিচিত হয়েছে। তাই বিদ্যাসুন্দর আর তাদের রসপিপাসা নিবৃত্ত করতে পারেনি। অথচ বাংলা নাটক তখনও সৃষ্টি হয়নি। তাই আবার ইংরেজি নাটকের দিকে মুখ ফেরাতে হল। ওরিয়েন্টাল সেমিনারির ছাত্ররা ওরিয়েন্টাল থিয়েটার স্থাপন করে ১৮৫৪ সালে মঞ্চস্থ করল ''ওথেলো''। এরপর ''মার্চেন্ট অফ ভেনিস'' ও ''হেনরি দ্য ফোর্থ'' নাটক দুটিও এখানে অভিনীত হল। কিন্তু এই প্রয়াসও দীর্ঘস্থায়ী হয়নি।
==সংস্কৃত নাটকের বঙ্গানুবাদ ও প্রথম মৌলিক বাংলা নাটকের অভিনয়==
এরপর নাট্যশালায় শুরু হল বাংলা নাটকের যুগ। এই নাটকগুলির মধ্যে কয়েকটি সংস্কৃত নাটকের বঙ্গানুবাদ, আবার কয়েকটি মৌলিক বাংলা নাটক। এইরকম প্রথম উল্লেখযোগ্য নাটক হল ''শকুন্তলা''। ১৮৫৭ সালের জানুয়ারি মাসে এটি আশুতোষ দেবের (ছাতুবাবু) বাড়িতে অভিনীত হয়। সেই বছরই মার্চ মাসে নতুনবাজারে রামজয় বসাকের বাড়িতে অভিনীত হল রামনারায়ণ তর্করত্নের ''কুলীনকুলসর্বস্ব''। এটি বিশেষভাবে স্মরণীয় এই কারণেই যে, এটিই ছিল প্রথম মৌলিক বাংলা নাটকের অভিনয়। ১৮৫৭-৫৯ সালের মধ্যে কালীপ্রসন্ন সিংহ প্রতিষ্ঠিত বিদ্যোৎসাহিনী থিয়েটারে অভিনীত হল ''বেণীসংহার'', ''বিক্রমোর্বশী'', ''মালতীমাধব'' প্রভৃতি অনূদিত নাটক এবং কালীপ্রসন্নেরই মৌলিক নাটক ''সাবিত্রী-সত্যবান''।
==বেলগাছিয়া থিয়েটার ও মাইকেল মধুসূদন দত্ত==
পাইকপাড়ার রাজা প্রতাপচন্দ্র সিংহ ও তাঁর ভাই ঈশ্বরচন্দ্র সিংহের উদ্যোগে তাঁদের বেলগাছিয়ার বাগানবাড়িতে স্থাপিত হয় বেলগাছিয়া থিয়েটার। ১৮৫৮ সালের জুলাই মাসে রামনারায়ণ অনূদিত ''রত্নাবলী'' নাটক দ্বারা মহাসমারোহে এই মঞ্চের উদ্বোধন হয়। এই অভিনয়ের সূত্রেই মাইকেল মধুসূদন দত্ত বাংলা নাটক রচনার প্রেরণা লাভ করেন। পরের বছর সেপ্টেম্বর মাসে এখানে মধুসূদনের মৌলিক নাটক ''শর্মিষ্ঠা'' অভিনীত হয়। এরপর ধনী ব্যক্তিদের প্রচেষ্টায় আরও বহু মঞ্চ গড়ে ওঠে। এগুলির মধ্যে মেট্রোপলিটান থিয়েটার, পাথুরিয়াঘাটা বঙ্গ নাট্যালয়, জোড়াসাঁকো নাট্যশালা, বহুবাজার নাট্যালয় প্রভৃতির নাম উল্লেখযোগ্য।
==ন্যাশনাল থিয়েটার: বাংলার প্রথম সাধারণ নাট্যশালা==
ইতিপূর্বে হিন্দু থিয়েটার থেকে আরম্ভ করে সব কটি নাট্যশালাই ধনী ব্যক্তিদের পৃষ্ঠপোষকতায় হয় তাঁদের বাড়িতে না হয় তাঁদের বাগানবাড়িতে স্থাপিত হয়েছিল। এগুলিতে অভিজাত সম্প্রদায় ছাড়া আর কারও প্রবেশাধিকার ছিল না। কিন্তু জনগণের সঙ্গে যোগ না ঘটলে নাটক ও নাট্যশালার উন্নতি হতে পারে না। তাই নাটককে সাধারণের উপভোগ্য করে তোলার দায়িত্ব নিলেন বাগবাজার অ্যামেচার থিয়েটারের কয়েকজন সদস্য। ১৮৭২ সালের ডিসেম্বর মাসে জোড়াসাঁকোর মধুসূদন সান্যালের বহির্বাটীর প্রশস্ত প্রাঙ্গনে ন্যাশনাল থিয়েটার স্থাপিত হল এবং দীনবন্ধু মিত্রের ''নীলদর্পণ'' নাটকের অভিনয়ের মাধ্যমে তার উদ্বোধন করা হল। উল্লেখযোগ্য, গিরিশচন্দ্র ঘোষ বাগবাজার অ্যামেচার থিয়েটারের এক বিশিষ্ট সদস্য হলেও ন্যাশনাল থিয়েটারের প্রতিষ্ঠায় অংশগ্রহণ করেননি। ন্যাশনাল থিয়েটারে তিনি যোগ দিয়েছিলেন আরও পরে। ন্যাশনাল থিয়েটারই প্রথম এদেশে সর্বসাধারণের কাছে টিকিট বিক্রির ব্যবস্থা করে। এইভাবে বাংলা শখের থিয়েটার সাধারণ নাট্যশালায় পরিণত হয়।
{{বইয়ের বিষয়শ্রেণী}}
8x9vms4dh487z6gva8kyd0kz40w26mu
আধুনিক বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস/আদি পর্বের অনুবাদ ও মৌলিক নাটক
0
27168
84656
2025-06-17T18:28:23Z
Jonoikobangali
676
"রামনারায়ণ তর্করত্নের ''কুলীনকুলসর্বস্ব'' (১৮৫৪) নাটকটিকে বাংলা ভাষায় রচিত প্রথম সার্থক সামাজিক নাটক বলা যেতে পারে, কিন্তু এটি প্রথম মৌলিক বাংলা নাটক নয়। প্রকৃতপক্ষে বা..." দিয়ে পাতা তৈরি
84656
wikitext
text/x-wiki
রামনারায়ণ তর্করত্নের ''কুলীনকুলসর্বস্ব'' (১৮৫৪) নাটকটিকে বাংলা ভাষায় রচিত প্রথম সার্থক সামাজিক নাটক বলা যেতে পারে, কিন্তু এটি প্রথম মৌলিক বাংলা নাটক নয়। প্রকৃতপক্ষে বাংলা ভাষায় অনূদিত ও মৌলিক নাটকের ধারার সূত্রপাত রামনারায়ণের বহু পূর্বেই ঘটেছিল। উনিশ শতকের মধ্যভাগে ইংরেজি ও সংস্কৃত ভাষা থেকে বহু নাটক বাংলায় অনূদিত হয়। ইংরেজি নাটকের মধ্যে শেকসপিয়রের নাটক সেকালের ইংরেজি-শিক্ষিত বাঙালিকে বিশেষভাবে আকৃষ্ট করেছিল এবং পাশ্চাত্য নাট্যশৈলীতে বাংলা নাটক রচনায় উদ্বুদ্ধ হয়েছিলেন প্রথম যুগের বাঙালি নাট্যকারেরা। কিন্তু তাঁরা সংস্কৃত নাট্যশৈলীকেও সম্পূর্ণ পরিত্যাগ করতে পারেননি। তাই সেকালের অনূদিত ও মৌলিক উভয় নাটকের মধ্যেই পাশ্চাত্য ও সংস্কৃত নাট্যশৈলীর প্রভাব সুস্পষ্ট।
==ইংরেজি ও সংস্কৃত নাটকের অনুবাদ==
===ইংরেজি নাটকের অনুবাদ===
কলকাতায় নাট্যশালা স্থাপনের প্রথম পর্ব থেকেই সেখানে শেকসপিয়রের নাটক মঞ্চস্থ হচ্ছিল। শেকসপিয়রই তৎকালীন ইংরেজি-শিক্ষিত বাঙালিকে সবচেয়ে বেশি আকর্ষিত করেছিলেন। এটি বাঙালির নাট্যরসবোধেরও পরিচায়ক। সেই সঙ্গে বাংলা ভাষাতেও শেকসপিয়রের নাটকের অনুবাদ বা অনুসরণ করা চলে কিনা সে নিয়ে পরীক্ষানিরীক্ষাও শুরু হয়ে গিয়েছিল। তাই দেখা যায়, উনিশ শতকের মধ্যভাগ থেকে প্রায় শেষ পর্যন্ত যে-সব ইংরেজি নাটকের অনুবাদ বা অনুসরণ হয়েছে, শেকসপিয়রের নাটকই ছিল তার প্রধান অবলম্বন।
হরচন্দ্র ঘোষ ''মার্চেন্ট অফ ভেনিস'' অবলম্বনে ''ভানুমতী-চিত্তবিলাস'' (১৮৫৩) এবং ''রোমিও অ্যান্ড জুলিয়েট'' অবলম্বনে ''চারুমুখ-চিত্তহরা'' (১৮৬৪) রচনা করেন। প্যারীচাঁদ মুখোপাধ্যায় ''মার্চেন্ট অফ ভেনিস'' অবলম্বনে রচনা করেন ''সুরলতা নাটক'' (১৮৬৭)। চন্দ্রকালী ঘোষ ''সিম্বেলাইন'' অবলম্বনে রচনা করেন ''কুসুমকুমারী নাটক'' (১৮৬৮)। হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় ''দ্য টেম্পেস্ট'' অবলম্বনে রচনা করেন ''নলিনীবসন্ত নাটক'' (১৮৬৮)। বেণীমাধব ঘোষ ''দ্য কমেডি অফ এররস'' অবলম্বনে ''ভ্রমকৌতুক নাটক'' (১৮৭২) এবং তারিণীচরণ পাল ''ওথেলো'' অবলম্বনে ''ভীমসিংহ নাটক'' (১৮৭৪) রচনা করেন। ''হ্যামলেট'' অবলম্বনে প্রমথনাথ বসু ''অমরসিংহ নাটক'' (১৮৭৪) এবং হরলাল রায় ''রুদ্রপাল নাটক'' (১৮৭৪) রচনা করেন। পরবর্তীকালে ''হরিরাজ'' নামে ''হ্যামলেট''-এর আর-একটি অনুবাদও প্রকাশিত হয়। এটির রচয়িতা হিসেবে অমরেন্দ্রনাথ দত্তের নাম প্রচলিত, তবে গবেষকদের মধ্যে তা নিয়ে মতভেদ আছে। তারকনাথ মুখোপাধ্যায় ১৮৭৫ সালে এবং গিরিশচন্দ্র ঘোষ ১৮৯৩ সালে ''ম্যাকবেথ'' অনুবাদ করেন। অজ্ঞাতনামা লেখকের ''মদনমঞ্জরী নাটক'' (১৮৭৬) ও যোগেন্দ্রনাথ দাসঘোষের ''অজয়সিংহ-বিলাসবতী নাটক'' (১৮৭৮) যথাক্রমে ''দ্য উইন্টার’স টেল'' ও ''রোমিও অ্যান্ড জুলিয়েট'' নাটকের অনুবাদ। নীলরতন মুখোপাধ্যায় ''আ মিডসামার নাইট’স ড্রিম'' অবলম্বনে রচনা করেন ''শরৎশশী নাটক'' (১৮৮২-৮৩)। জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর অনুবাদ করেন ''জুলিয়াস সিজার''। এছাড়া নিকোলাস রো-এর ''দ্য ফেয়ার পেশেন্ট'' নাটক অবলম্বনে শ্যামাচরণ দাস দত্ত রচনা করেন ''অনুতাপিনী নবকামিনী নাটক''।
===সংস্কৃত নাটকের অনুবাদ===
উনিশ শতকের প্রথমার্ধ থেকে বিভিন্ন সংস্কৃত নাটকও বাংলায় অনূদিত হয়েছিল। ১৮৩৯-৪০ সালে বিশ্বনাথ ন্যায়রত্ন সর্বপ্রথম কৃষ্ণ মিশ্রের সংস্কৃত ''প্রবোধচন্দ্রোদয়'' নাটকটি অনুবাদ করেন। এছাড়া নন্দকুমার রায়ের ''অভিজ্ঞান-শকুন্তলা-নাটক'' (১৮৫৫) বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। রামনারায়ণ তর্করত্ন কয়েকটি সংস্কৃত নাটকের অনুবাদ করেছিলেন। এগুলি হল ভট্টনারায়ণের ''বেণীসংহার'' (১৮৫৩), শ্রীহর্ষের ''রত্নাবলী'' (১৮৫৮), কালিদাসের ''অভিজ্ঞানশকুন্তল নাটক'' (১৮৬০) ও ভবভূতির ''মালতীমাধব নাটক'' (১৮৬৭)। কালীপ্রসন্ন সিংহ অনুবাদ করেন ''বিক্রমোর্বশী'' (১৮৫৭) ও ''মালতীমাধব নাটক'' (১৮৫৯)। ১৮৯৯ থেকে ১৯০৪ সালের মধ্যে জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর সতেরোটি গুরুত্বপূর্ণ সংস্কৃত নাটক অনুবাদ করেন। তার মধ্যে কালিদাসের ''অভিজ্ঞানশাকুন্তলম্'', ভবভূতির ''মালতীমাধব'' ও শূদ্রকের ''মৃচ্ছকটিক'' বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
==মৌলিক নাটক==
===যোগেন্দ্রচন্দ্র গুপ্ত===
প্রথম বাংলা নাটক রচনার গৌরব যে দুজন নাট্যকারের প্রাপ্য, যোগেন্দ্রচন্দ্র গুপ্ত তাঁদের অন্যতম। তিনি ১৮৫২ সালে ইংরেজি নাট্যাদর্শে ''কীর্তিবিলাস'' নামে একটি নাটক রচনা করেন। নাটকটি কোনও রঙ্গমঞ্চে অভিনীত হয়নি, সুতরাং পাঠ্য নাটক হিসেবেই এটির পরিচয়। কিন্তু সাহিত্যবিচারে নাটকটির মূল্য নগন্য। নাটকটিতে শেকসপিয়রের ''হ্যামলেট'' নাটকের ছাপ থাকলেও মূলত এটি বাংলায় প্রচলিত বিজয়-বসন্ত কাহিনিরই অনুসরণ। তবে ''কীর্তিবিলাস'' নাটকটির মাধ্যমেই বাংলা নাট্যসাহিত্যে ট্র্যাজেডি রচনার প্রয়াস পরিস্ফুট, সেই হিসেবে নাটকটির কিছু ঐতিহাসিক মূল্য রয়েছে। আমাদের দেশে ট্র্যাজেডির ঐতিহ্য ছিল না, যোগেন্দ্রচন্দ্র সেই ঐতিহ্যকে অতিক্রম করার দুঃসাহস দেখিয়েছিলেন। অবশ্য এই প্রয়াসে যে তিনি বিশেষ সফল হয়েছিলেন, তা বলা চলে না। যে কর্মসংঘাত বা action পাশ্চাত্য নাটকের প্রাণবস্তু, ''কীর্তিবিলাস''-এ তা সম্পূর্ণ অনুপস্থিত। চরিত্রচিত্রণেও নাট্যকার ব্যর্থ। নাটকটিতে পাশ্চাত্য নাট্যরীতির অনুসরণের প্রয়াস থাকলেও সংস্কৃত নাটকের অনুকরণে এতে নান্দী, প্রস্তাবনা প্রভৃতিও আছে।
===তারাচরণ শিকদার===
তারাচরণ শিকদারের ''ভদ্রার্জুন'' নাটকটিও ১৮৫২ সালেই প্রকাশিত হয়। মহাভারতের আদিপর্বে উল্লিখিত অর্জুন কর্তৃক সুভদ্রাহরণের উপাখ্যান এই নাটকের আখ্যানবস্তু হলেও এটির রচনাপ্রণালী বহুলাংশে মৌলিক। এই নাটকে ইংরেজি ও সংস্কৃত নাট্যাদর্শের মিশ্রণ ঘটেছে। এতে সংস্কৃত নাটকের নান্দী ও প্রস্তাবনা এবং বিদূষকের ভূমিকা পরিত্যক্তা হয়েছে, এবং ইংরেজি নাটকের মতো ঘটনা ও সংস্থান এবং অঙ্কের অন্তর্গত একাধিক দৃশ্য প্রযুক্ত হয়েছে। নাটকের ভূমিকায় তারাচরণ লিখেছেন, “এই নাটক ক্রিয়াদি ও ঘটনাবস্থানের নির্ণয় বিষয়ে ইউরোপীয় নাটক-প্রায় হইয়াছে।” কিন্তু বাস্তবে মহাভারতের আখ্যানটি কথোপকথনের মাধ্যমে প্রকাশের চেষ্টা ছাড়া এর নাট্যগুণ কিছুই নেই। নাটকটি অংশত গদ্যে এবং বেশিরভাগ পদ্যে রচিত। গদ্যাংশের ভাষা সরল। চিত্রগুলিতেও মাঝে মাঝে সজীবতার স্পর্শ অনুভূত হয়। ''ভদ্রার্জুন'' কোনও মঞ্চে অভিনীত হয়নি।
===হরচন্দ্র ঘোষ===
হরচন্দ্র ঘোষ (১৮১৭—১৮৮৫) ছিলেন পদস্থ সরকারি কর্মচারী। বাংলা ও সংস্কৃতের মতো ইংরেজিতেও তিনি পারদর্শী ছিলেন। তাই দেখা যায়, নাট্যরচনায় তিনি সংস্কৃত ও বাংলা ঐতিহ্যকে যেমন গ্রহণ করেছেন, ইংরেজি আদর্শকেও তেমনই বরণ করেছেন। কিন্তু প্রয়াস সাধু হলেও নাট্যরচনার প্রতিভা তাঁর ছিল না। তাঁর প্রথম নাটক ''ভানুমতী-চিত্তবিলাস'' (১৮৫৩) তার প্রমাণ। নাটকটি শেকসপিয়রের ''মার্চেন্ট অফ ভেনিস'' নাটকের অনুসরণ। শেকসপিয়র অবলম্বনে নাট্যরচনার ক্ষেত্রে হরচন্দ্রকেই পথিকৃৎ বলা যেতে পারে। তবু নাটকটি যথাযথ নাটক হয়ে উঠতে পারেনি। তিনি ইচ্ছামতো মূল নাটকের অনেক পরিবর্তন করেছেন, যা নাট্যগুণসম্পন্ন হয়নি। কারণ পোর্শিয়াকে ভানুমতীতে এবং বেসানিওকে চিত্তবিলাসে নামান্তরিত করলেই নাটকের প্রাণবস্তু ভাবান্তরিত হয় না। তাছাড়া কৃত্রিম সাধুভাষাও এটির নাট্যরস সৃষ্টির পরিপন্থী হয়েছে। হরচন্দ্রের দ্বিতীয় নাটক ''কৌরব বিয়োগ'' (১৮৫৮)। এই পঞ্চাঙ্ক নাটকটির কাহিনি কাশীদাসী মহাভারত থেকে গৃহীত এবং এটি গদ্যে-পদ্যে রচিত। তাঁর তৃতীয় নাটক ''চারুমুখ-চিত্তহরা'' (১৮৬৪) শেকসপিয়রের ''রোমিও অ্যান্ড জুলিয়েট'' নাটকের অনুবাদ। কিন্তু সেই অনুবাদের ভাষা ও ভঙ্গি এমনই যে, এটিকে শেকসপিয়রের অনুবাদ মনে করা ধৃষ্টতা। এর আগে মাইকেল মধুসূদন দত্তের নাটকগুলি এবং দীনবন্ধু মিত্রের ''নীলদর্পণ'' ও ''নবীন তপস্বিনী'' প্রকাশিত হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিচার করলে হরচন্দ্র ঘোষকে নাট্যকার হিসেবে ব্যর্থই বলতে হয়। তাঁর কৃতিত্ব এই যে, তিনিই সর্বপ্রথম শেকসপিয়র অবলম্বনে বাংলা নাটক রচনার চেষ্টা করেছিলেন। হরচন্দ্রের চতুর্থ নাটক ''রজতগিরিনন্দিনী'' (১৮৭৪) ব্রহ্মদেশীয় উপাখ্যান অবলম্বনে রচিত।
===কালীপ্রসন্ন সিংহ===
কালীপ্রসন্ন সিংহ (১৮৪০—১৮৭০) ''হুতোম প্যাঁচার নক্সা'' এবং সংস্কৃত মহাভারতের অনুবাদের জন্য বাংলা সাহিত্যে খ্যাতিমান। কিন্তু রঙ্গমঞ্চের পৃষ্ঠপোষক হিসেবেও বাংলা নাট্যশালার ইতিহাসে তাঁর নাম স্মরণীয়। ১৮৫৬ সালে তিনি বিদ্যোৎসাহিনী থিয়েটার প্রতিষ্ঠা করেন এবং প্রধানত সেই সূত্রেই নাট্যরচনায় মনোনিবেশ করেন। অবশ্য তাঁর প্রথম নাটক ''বাবু'' (১৮৫৪) মঞ্চস্থ হয়নি। তাঁর লেখা ''বিক্রমোর্বশী'' (১৮৫৭), ''সাবিত্রী-সত্যবান'' (১৮৫৮) ও ''মালতীমাধব নাটক'' (১৮৫৯) নাটক তিনটিই অভিনীত হয়েছিল। ''বিক্রমোর্বশী'' ও ''মালতীমাধব নাটক'' যথাক্রমে কালিদাস ও ভবভূতির নাটকের অনুবাদ। ''সাবিত্রী-সত্যবান'' তাঁর মৌলিক নাটক। তিনি সংস্কৃত আদর্শের অনুসরণেই নাটক রচনা করেছিলেন। তাঁর ভাষা ছিল চলিত, তবে তা তখনও কৃত্রিমতার গণ্ডি অতিক্রম করতে পারেনি। শেষ দুটি নাটকে কালীপ্রসন্ন প্রচুর গানের সমাবেশ ঘটিয়েছেন, যা নিঃসন্দেহে যাত্রার ঐতিহ্যের অনুবর্তন।
{{বইয়ের বিষয়শ্রেণী}}
p77c4q31xfglejao23qi3fz3vfbr797
আধুনিক বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস/রঙ্গলাল বন্দ্যোপাধ্যায়
0
27169
84675
2025-06-17T20:46:16Z
Jonoikobangali
676
"কবি রঙ্গলাল বন্দ্যোপাধ্যায় (১৮৩৭—১৮৮৭) ছিলেন কলকাতার খিদিরপুরের অধিবাসী। স্কুল-কলেজে পড়ার সুযোগ না পেলেও তিনি যথেষ্ট উচ্চশিক্ষা লাভ করেছিলেন এবং আয়ত্ত করেছিলেন ইংর..." দিয়ে পাতা তৈরি
84675
wikitext
text/x-wiki
কবি রঙ্গলাল বন্দ্যোপাধ্যায় (১৮৩৭—১৮৮৭) ছিলেন কলকাতার খিদিরপুরের অধিবাসী। স্কুল-কলেজে পড়ার সুযোগ না পেলেও তিনি যথেষ্ট উচ্চশিক্ষা লাভ করেছিলেন এবং আয়ত্ত করেছিলেন ইংরেজি, সংস্কৃত, বাংলা ও ফারসি ভাষা। প্রথম জীবনে তিনি ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তের শিষ্যত্ব গ্রহণ করে তাঁর ''সংবাদ প্রভাকর'' পত্রিকায় লেখা প্রকাশ করতেন। নিজেও সম্পাদনা করেছেন ''সংবাদ-রসসাগর'' নামে একটি পত্রিকা। এছাড়া তিনি ছিলেন ''এডুকেশন গেজেট ও সাপ্তাহিক বার্তাবহ'' পত্রিকার সহ-সম্পাদক। প্রথম জীবনে তিনি ''ঊষা-অনিরুদ্ধ'' নামে একটি পাঁচালিকাব্য রচনা করেন। প্রাচীন ভঙ্গিতে লেখা সেই কাব্য লুপ্ত হয়ে গিয়েছে। সেই কাব্যের একটি গান আছে তাঁর ''কাঞ্চীকাবেরী'' কাব্যের পঞ্চম সর্গে। রঙ্গলাল বাংলা আখ্যানকাব্য রচনার প্রথম পথনির্দেশক। ইংরেজি কাব্যসাহিত্যের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ পরিচয়ের ফলে তাঁর কাব্যরচনায় নতুন সুর ধ্বনিত হয়ে ওঠে। বহু ইংরেজি কবিতার আক্ষরিক ও ভাবানুবাদ করে তিনি প্রথম জীবনে হাত পাকিয়েছিলেন।
রঙ্গলাল ছিলেন মাইকেল মধুসূদন দত্তের অব্যবহিত পূর্ববর্তী কবি এবং ঐতিহাসিক ও পৌরাণিক আখ্যানকাব্যের প্রবর্তকের সম্মান পাওয়ার অধিকারী। শিল্পবিচারে তিনি উন্নত কবিপ্রতিভার অধিকারী ছিলেন না সত্য, কিন্তু বাংলা কাব্যধারার গতি পরিবর্তনে তাঁর দান অসামান্য। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের প্রতি তাঁর অনুরাগ ছিল প্রগাঢ়। ইংরেজি-নবিশ হরচন্দ্র দত্ত বিটন সোসাইটির এক অধিবেশনে ইংরেজি কাব্যের সঙ্গে বাংলা কাব্যের তুলনা করে বাংলা কবিতাকে হেয় প্রতিপন্ন করলে রঙ্গলাল পরবর্তী অধিবেশনে ''বাংলা কবিতাবিষয়ক প্রবন্ধ'' লিখে পাঠ করেন। তারপর তিনি নিষ্ঠার সঙ্গে কাব্যরচনায় আত্মনিয়োগ করেন। ''পদ্মিনী উপাখ্যান'' (১৮৫৮), ''কর্মদেবী'' (১৮৬২), ''শূরসুন্দরী'' (১৮৬৮) ও ''কাঞ্চীকাবেরী'' (১৮৭৯) তাঁর রচিত আখ্যানকাব্য। এছাড়া তিনি অলিভার গোল্ডস্মিথের ''দ্য হারমিট'' কাব্যটি অনুবাদ করেন। বিদেশি সাহিত্যের ঋণ গ্রহণ ও স্বীকার করে তিনি ''ভেকমূষিকের যুদ্ধ'' নামে একটি ব্যঙ্গকাব্য রচনা করেছিলেন। ১৮৭২ সালে কালিদাসের ''কুমারসম্ভবম্'' কাব্যের অনুবাদ করেন এবং দুশো উদ্ভট সংস্কৃত শ্লোক অনুবাদ করে ''নীতিকুসুমাঞ্জলি'' নামে প্রকাশ করেন ''বঙ্গদর্শন'' পত্রিকায়। তাঁর বেশ কিছু কবিতা ''রহস্য-সন্দর্ভ'' পত্রিকাতেও প্রকাশিত হয়েছিল। ওয়াটের অনুসরণে ‘প্রভাতসঙ্গীত’, কুপারের অনুকরণে ‘নদী ও কালের সমতা’, মিলটনের অনুকরণে ‘আদিম নরদম্পতীর প্রাতরুপাসনা’ ইত্যাদি অনুবাদ কবিতা তাঁর রচনা। কয়েকটি ওড়িয়া কবিতারও তিনি পদ্যানুবাদ করেন। এছাড়া ওমর খৈয়ামের প্রথম বাংলা পদ্যানুবাদ রঙ্গলালের একটি বিশিষ্ট কীর্তি।
উনিশ শতকের আখ্যানকাব্যের ইতিহাসে রঙ্গলাল শীর্ষস্থানীয় কবি। তিনি মহাকবির প্রতিভা নিয়ে জন্মগ্রহণ করেননি। কিন্তু স্বদেশপ্রেমের আবেগ দিয়ে টডের ''অ্যানালস অ্যান্ড অ্যান্টিকুইটিজ অফ রাজস্থান'' অবলম্বনে অপূর্ব আখ্যানকাব্যের সূচনা করেছিলেন। পরবর্তীকালের কাব্যপ্রবাহের উৎসমুখে রঙ্গলাল কর্তৃক এই আবেগসঞ্চার সাহিত্যের ইতিহাসে চিরকাল মুদ্রিত হয়ে থাকবে। স্কটের মিনস্ট্রেলের অনুকরণে চারণের মুখে চিতোর আক্রমণ ও রানি পদ্মিনীর জহরব্রতে আত্মোৎসর্গের বিবরণ অবলম্বনে ''পদ্মিনী উপাখ্যান'' কাব্যটি রচনা করেন রঙ্গলাল। ঘটনাগুলি নিঃসংশয়ে ঐতিহাসিক সত্য না হলেও ঐতিহাসিক আখ্যানকাব্যের উৎকৃষ্ট নিদর্শন রূপে কাব্যটিকে গ্রহণ করা যেতে পারে। এই কাব্যের দেশপ্রেমের উদ্দীপনামূলক সংগীতগুলি বাঙালির জাতীয় জীবনে অনুপ্রেরণায় সঞ্চার করেছিল। রঙ্গলালের দ্বিতীয় কাব্য ''কর্মদেবী''-র বিষয়বস্তুও রাজপুত ইতিহাস থেকে গৃহীত। ভট্টি জাতির অধিপতি অনঙ্গদেবের পুত্র সাধুর সঙ্গে গোহিল-বংশীয় রাজা মাণিকদেবের কন্যা কর্মদেবীর প্রণয় এই কাব্যের কথাবস্তু। কাব্যটিতে দেশপ্রেমের আদর্শ আছে, কিন্তু কাব্যকলার বিশেষ কোনও পরিচয় নেই। ''শূরসুন্দরী'' কাব্যের বিষয়বস্তুও রাজপুত ইতিহাস। নওরোজ উৎসবে সম্রাট আকবর প্রতাপসিংহের ভ্রাতুষ্পুত্রীকে অপমান করার চেষ্টা করে লাঞ্ছিত হন। এটিই কাব্যটির বিষয়বস্তু। আকবরের প্রাসাদ ও অন্তঃপুরের বর্ণনায় কবি কৃতিত্বের পরিচয় দিয়েছেন। ''কাঞ্চীকাবেরী'' গ্রন্থের বিষয়বস্তু কিংবদন্তিমূলক। ওড়িয়া কবি পুরুষোত্তমের কাব্য অনুকরণে এই কাব্য রচিত। উড়িষ্যার রাজা কপিলেন্দ্র দেব স্বপ্নাদেশে কনিষ্ঠ পুত্র পুরুষোত্তমকে যৌবরাজ্যে অভিষিক্ত করলেন। কাঞ্চী রাজকন্যার সঙ্গে তাঁর বিবাহের সম্বন্ধ এল। রথযাত্রার সময় কাঞ্চীরাজ পাত্র দেখতে এসে দেখলেন যে পুরুষোত্তম রথের সম্মুখে রাজপথ ঝাঁট দিচ্ছেন। চণ্ডালের কর্মে নিযুক্ত ব্যক্তির হাতে কন্যা সম্প্রদান করতে অস্বীকার করে কাঞ্চীরাজ ফিরে গেলেন। পুরুষোত্তম কাঞ্চী রাজ্য আক্রমণ করে রাজকন্যাকে কেড়ে আনলেন এবং চণ্ডালের হাতে সমর্পণ করতে উদ্যত হলেন। কিন্তু সমস্যার সমাধান করলেন মন্ত্রী। রথের সময় রাজা চণ্ডালের কর্মে নিযুক্ত থাকাকালীন মন্ত্রী রাজার হাতে রাজকন্যা পদ্মাবতীকে সমর্পণ করলেন। এই কাব্যটি ভক্তিমূলক রোম্যান্টিক প্রেমের গল্প।
রঙ্গলালকে নবযুগের বার্তাবহ কবি বলা যায়। তিনি কাব্য সংস্কারে বা আঙ্গিক রূপান্তরে আমূল পরিবর্তন আনতে পারেননি। কিন্তু স্বদেশপ্রেম ও আখ্যান-কৌতূহল সঞ্চার করে বাংলা আখ্যানকাব্যের গোড়াপত্তন করেছিলেন। বলা হয় যে, তিনি খাঁটি বাঙালি কবি ঈশ্বর গুপ্ত এবং “ডাহা ইংরাজ” মধুসূদনের মধ্যবর্তী “হাইফেন”। তাঁর কাব্যসৃষ্টিতে রসমূল্য খুব উচ্চস্তরের না হতে পারে, কিন্তু বিষয়ের বিস্তারে, ঐকান্তিকতায় ও নিষ্ঠায় তিনি বাংলা কাব্যের ধারাকে প্রবহমান ও পরিণামমুখী করে বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে বিশিষ্ট স্থান অধিকার করে আছেন।
{{বইয়ের বিষয়শ্রেণী}}
kvzdjo7otq7ab6h8ce70ctbgsj4f5vw
রন্ধনপ্রনালী:খস খস শরবত
0
27170
84677
2025-06-17T23:26:50Z
Mehedi Abedin
7113
Mehedi Abedin [[রন্ধনপ্রনালী:খস খস শরবত]] কে [[রন্ধনপ্রণালী:খস খস শরবত]] শিরোনামে স্থানান্তর করেছেন
84677
wikitext
text/x-wiki
#পুনর্নির্দেশ [[রন্ধনপ্রণালী:খস খস শরবত]]
q2r5a24l7ww9lew32ry7jfo8r9v0xg3
আলাপ:রন্ধনপ্রনালী:খস খস শরবত
1
27171
84679
2025-06-17T23:26:50Z
Mehedi Abedin
7113
Mehedi Abedin [[আলাপ:রন্ধনপ্রনালী:খস খস শরবত]] কে [[রন্ধনপ্রণালী আলোচনা:খস খস শরবত]] শিরোনামে স্থানান্তর করেছেন
84679
wikitext
text/x-wiki
#পুনর্নির্দেশ [[রন্ধনপ্রণালী আলোচনা:খস খস শরবত]]
d407pap1p7jb7lh0gb47sirm7ahx9ow
রন্ধনপ্রণালী:শাহী দাল মাখনি
104
27172
84749
2025-06-18T00:22:39Z
Mehedi Abedin
7113
Mehedi Abedin [[রন্ধনপ্রণালী:শাহী দাল মাখনি]] কে [[রন্ধনপ্রণালী:শাহী ডাল মাখনি]] শিরোনামে স্থানান্তর করেছেন
84749
wikitext
text/x-wiki
#পুনর্নির্দেশ [[রন্ধনপ্রণালী:শাহী ডাল মাখনি]]
n4i4bofj9lsciboqrn09u3j3gahp6eb
রন্ধনপ্রণালী আলোচনা:শাহী দাল মাখনি
105
27173
84751
2025-06-18T00:22:39Z
Mehedi Abedin
7113
Mehedi Abedin [[রন্ধনপ্রণালী আলোচনা:শাহী দাল মাখনি]] কে [[রন্ধনপ্রণালী আলোচনা:শাহী ডাল মাখনি]] শিরোনামে স্থানান্তর করেছেন
84751
wikitext
text/x-wiki
#পুনর্নির্দেশ [[রন্ধনপ্রণালী আলোচনা:শাহী ডাল মাখনি]]
binaiyfgszfw8y1jf1c4clfi3pdrtxf
ব্যবহারকারী আলাপ:Mizanur Rahman Molla
3
27174
84820
2025-06-18T09:40:10Z
KanikBot
8129
স্বাগতম!
84820
wikitext
text/x-wiki
== বাংলা উইকিবইয়ে স্বাগত ==
{{স্বাগত/২য় সংস্করণ}} ০৯:৪০, ১৮ জুন ২০২৫ (ইউটিসি)
97ezegwaakbffj4fw6061eprcmlhryo
টেমপ্লেট:Quotation
10
27175
84824
2025-06-18T10:26:13Z
Mehedi Abedin
7113
[[সাহায্য:স্বয়ংক্রিয় সম্পাদনা সারাংশ|←]][[টেমপ্লেট:উক্তি]]-এ পুনর্নির্দেশ করা হল
84824
wikitext
text/x-wiki
#পুনর্নির্দেশ [[টেমপ্লেট:উক্তি]]
98xahb247o87ht90ep9jwvxuovufsli