উইকিবই
bnwikibooks
https://bn.wikibooks.org/wiki/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8_%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A6%BE
MediaWiki 1.45.0-wmf.8
first-letter
মিডিয়া
বিশেষ
আলাপ
ব্যবহারকারী
ব্যবহারকারী আলাপ
উইকিবই
উইকিবই আলোচনা
চিত্র
চিত্র আলোচনা
মিডিয়াউইকি
মিডিয়াউইকি আলোচনা
টেমপ্লেট
টেমপ্লেট আলোচনা
সাহায্য
সাহায্য আলোচনা
বিষয়শ্রেণী
বিষয়শ্রেণী আলোচনা
উইকিশৈশব
উইকিশৈশব আলাপ
বিষয়
বিষয় আলাপ
রন্ধনপ্রণালী
রন্ধনপ্রণালী আলোচনা
TimedText
TimedText talk
মডিউল
মডিউল আলাপ
ব্যবহারকারী আলাপ:Tahmid
3
7783
85793
85747
2025-07-07T12:06:51Z
Tahmid
4464
/* সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/যৌনতা */ উত্তর
85793
wikitext
text/x-wiki
== বাংলা উইকিবইয়ে স্বাগতম ==
<div style="border:solid 5px tan; background:antiquewhite; padding:4px;">প্রিয় Tahmid02016, উইকিবইয়ে স্বাগতম! [[চিত্র:Smiley.svg|20px|link=]]
এই প্রকল্পে আপনার আগ্রহের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ; আশা করছি এ পরিবেশটি আপনার ভাল লাগবে এবং উইকিবইকে সমৃদ্ধ করার কাজে আপনি সহায়তা করবেন।। আপনার যদি সাহায্যের প্রয়োজন হয় তাহলে এগুলি দেখুন:
* [[চিত্র:Emblem-question-green.svg|20px|link=]] [[উইকিবই:সহায়িকা|সহায়িকা পাতা]]
* [[চিত্র:Article icon cropped.svg|20px|link=]] [[সাহায্য:কিভাবে একটি নতুন উইকিবই শুরু করবেন|নতুন লেখা শুরু কিভাবে করবেন]]
* [[চিত্র:Notepad icon.svg|20px|link=]] [[উইকিবই:রচনাশৈলী নির্দেশিকা|উইকিবইয়ের রচনাশৈলী]]
* [[চিত্র:Books-aj.svg_aj_ashton_01.svg|20px|link=]] [[উইকিবই:উইকিবই কি?|উইকিবই কি]]
* [[চিত্র:Control copyright icon.svg|20px|link=]] [[উইকিবই:কপিরাইট|কপিরাইট]]
আপনি সম্প্রদায়কে কোন সার্বজনীন প্রশ্ন করতে বা আলোচনা করতে [[উইকিবই:প্রশাসকদের আলোচনাসভা|আলোচনাসভা]] ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়া [[উইকিবই:সম্প্রদায়ের প্রবেশদ্বার|সম্প্রদায়ের প্রবেশদ্বার]] আপনাকে কাজের একটি তালিকা দিবে যা দিয়ে আপনি এখানে সাহায্য করতে পারেন। আপনার যদি কোন প্রশ্ন থাকে তবে বিনা দ্বিধায় [[ব্যবহারকারী আলাপ:Tahmid02016|আমার আলাপের পাতায়]] তা করতে পারেন।
অনুগ্রহপূর্বক আলাপের পাতায় বার্তা রাখার পর সম্পাদনা সরঞ্জামদণ্ডের [[চিত্র:Insert-signature2.svg|link=]] চিহ্নে ক্লিক করার মাধ্যমে অথবা চারটি টিল্ডা (<code><nowiki>~~~~</nowiki></code>) চিহ্ন দিয়ে নাম স্বাক্ষর করুন। এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে আপনার নাম এবং তারিখ যোগ করবে। যদি আপনার সাহায্যের প্রয়োজন হয় তাহলে [[উইকিবই:অভ্যর্থনা কমিটি|অভ্যর্থনা কমিটির]] যে-কোনো সদস্যকে প্রশ্ন করুন, বা আপনার আলাপের পাতায় '''<nowiki>{{সাহায্য করুন}}</nowiki>''' লিখুন এবং তার নিচে নিচে আপনার প্রশ্নটি লিখুন। একজন সাহায্যকারী কিছুক্ষণের মধ্যে আপনার প্রশ্নের উত্তর দেবেন।<br /> আশা করি আপনি [[উইকিবই:সম্প্রদায়ের প্রবেশদ্বার|বাংলা উইকিবই সম্প্রদায়ের]] একজন হয়ে সম্পাদনা করে আনন্দ পাবেন! আবারও স্বাগতম এবং শুভেচ্ছা!
[[উইকিবই:অভ্যর্থনা কমিটি|উইকিবই অভ্যর্থনা কমিটি]], ০৫:২৭, ১২ আগস্ট ২০১৭ (ইউটিসি)
</div>
== '''উইকি শিশুদের ভালোবাসে''' লিখন প্রতিযোগিতা- ''অংশ নিন ও পুরস্কার জিতুন'' ==
{| style="background-color: #9ee5ff; border: 1px solid #00b0f0; padding:10px;"
|-
|[[File:WLC logo.svg|frameless|right|100px]] সুপ্রিয় {{BASEPAGENAME}},
আশা করি এই গুমোট আবহাওয়াতেও ভালো আছেন। আপনার জ্ঞাতার্থে জানাচ্ছি যে, গত ১৬ অক্টোবর থেকে বাংলা উইকিবইয়ে '''[[উইকিবই:উইকি শিশুদের ভালোবাসে ২০২১|উইকি শিশুদের ভালোবাসে ২০২১]]''' শীর্ষক একটি লিখন ও অনুবাদ প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। আপনাকে এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। প্রতিযোগিতাটি অভিজ্ঞ, অনভিজ্ঞ ও নতুন ব্যবহারকারী সকলের জন্যই উন্মুক্ত।
অন্যান্য ভাষার উইকিবইয়ের চাইতে বাংলা উইকিবইয়ে অবদানকারীর সংখ্যা নিতান্তই কম, এমনকি সংখ্যাটি বাংলা উইকিপিডিয়ার তুলনায়ও নগণ্য। অথচ ডিজিটাল বইয়ের এই যুগে বাংলা উইকিবই যথেষ্ট গুরত্বের দাবি রাখে। এজন্য আমাদের আরও স্বেচ্ছাসেবক প্রয়োজন। আশা করি আপনি এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবেন ও উইকিবইকে সমৃদ্ধ করবেন। বিস্তারিত [[উইকিবই:উইকি শিশুদের ভালোবাসে ২০২১|প্রকল্প পাতায়]] দেখুন।
'''শীর্ষ অবদানকারীদের জন্য পুরষ্কার'''
* প্রথম পুরস্কার - ৳১৬০০ গিফট ভাউচার + মুদ্রিত সনদপত্র
* দ্বিতীয় পুরস্কার - ৳১২০০ গিফট ভাউচার + মুদ্রিত সনদপত্র
* তৃতীয় পুরস্কার - ৳৮০০ গিফট ভাউচার + মুদ্রিত সনদপত্র
* সকল অবদানকারী পাবেন অনলাইন সনদপত্র ও উইকিপদক
প্রতিযোগিতায় আপনাকে স্বাগত।<br />
শুভেচ্ছান্তে, <br /> [[ব্যবহারকারী:Aishik Rehman|Aishik Rehman]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:Aishik Rehman|আলাপ]]) ১৮:১৮, ১৭ অক্টোবর ২০২১ (ইউটিসি)
|}
== স্বয়ংক্রিয় পরীক্ষণ ==
[[চিত্র:Wikibooks_Autopatrolled.svg|right|80px|link=উইকিবই:স্বয়ংক্রিয় পরীক্ষণ]]
সুপ্রিয় Tahmid, আপনার অ্যাকাউন্টের সাথে স্বয়ংক্রিয় পরীক্ষণের সুবিধা <span class="plainlinks">[http://bn.wikibooks.org/w/index.php?title=Special:Log&type=rights&user=&page=User:{{PAGENAMEU}} যোগ করা হয়েছে]</span>, কারণ আপনি বিভিন্ন সময়ে মানসম্পন্ন ও গ্রহণযোগ্য সব পাতা সৃষ্টি করে চলেছেন। এই অধিকার আপনার সম্পাদনায় কোনো প্রভাব ফেলবে না। এটি শুধুমাত্র নতুন পাতা ও সম্পাদনা টহল বা পরীক্ষণের চাপ কমাবে। এই সুবিধাটি সম্পর্কে আরও জানতে [[উইকিবই:স্বয়ংক্রিয় পরীক্ষণ]] পাতাটি দেখতে পারেন। এছাড়া আপনার কোনো প্রশ্ন থাকলে তা আমার আলাপ পাতায় রাখতে পারেন। আপনার সম্পাদনা আনন্দময় হোক! —[[ব্যবহারকারী:MdsShakil|শাকিল]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:MdsShakil|আলাপ]]) ১৯:১৩, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২ (ইউটিসি)
== উইকিবই লিখন প্রতিযোগিতা ২০২২ ==
[[চিত্র:Wikibooks Writing Contest.svg|80px|ডান|link=উইকিবই:উইকিবই লিখন প্রতিযোগিতা ২০২২]]
সুপ্রিয় Tahmid,
উইকিমিডিয়া বাংলাদেশের উদ্যোগে বাংলা উইকিবইয়ে [[উইকিবই:উইকিবই লিখন প্রতিযোগিতা ২০২২|উইকিবই লিখন প্রতিযোগিতা ২০২২]] শীর্ষক একটি মাসব্যাপী বই লিখন প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। এই প্রতিযোগিতায় অনুবাদের মাধ্যমে ইংরেজি উইকিবই থেকে নতুন বই তৈরি করা হবে।
উক্ত প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে আমরা আপনাকে উইকিবই সমৃদ্ধ করার আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। প্রতিযোগিতায় সফলভাবে অংশগ্রহণকারী সকলকে উইকিমিডিয়া বাংলাদেশের পক্ষ থেকে পুরস্কৃত করা হবে। বিস্তারিত জানার জন্য [[উইকিবই:উইকিবই লিখন প্রতিযোগিতা ২০২২|প্রতিযোগীতার মূল পাতা]] দেখুন।
আয়োজক দলের পক্ষে —[[ব্যবহারকারী:MdsShakil|শাকিল হোসেন]] ১৫:১৬, ১ অক্টোবর ২০২২ (ইউটিসি)
<!-- https://bn.wikibooks.org/w/index.php?title=%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%AC%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%80:MdsShakil/%E0%A6%97%E0%A6%A3%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BE&oldid=48502-এর তালিকা ব্যবহার করে বার্তাটি ব্যবহারকারী:MdsShakil@bnwikibooks পাঠিয়েছেন -->
== [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/হোয়াইল লুপ]] ==
পুনরায় যাচাই করার অনুরোধ রইলো [[ব্যবহারকারী:MD Abu Siyam|MD Abu Siyam]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:MD Abu Siyam|আলাপ]]) ১৬:১৮, ৩১ মে ২০২৫ (ইউটিসি)
== [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/স্যাম্পলড ডেটা সিস্টেম]] ==
এটা ঠিক করেছি। [[ব্যবহারকারী:SMontaha32|SMontaha32]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:SMontaha32|আলাপ]]) ১৭:৩২, ৬ জুন ২০২৫ (ইউটিসি)
:@[[ব্যবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/পেশাদার লেখনী সম্বন্ধে]] লিংক ঠিক করেছি। [[ব্যবহারকারী:SMontaha32|SMontaha32]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:SMontaha32|আলাপ]]) ১৯:০৪, ৬ জুন ২০২৫ (ইউটিসি)
:@[[ব্যবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/রাউথ-হারউইটজ মানদণ্ড]] যান্ত্রিক অনুবাদ ঠিক করেছি। [[ব্যবহারকারী:SMontaha32|SMontaha32]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:SMontaha32|আলাপ]]) ১৯:১৮, ৬ জুন ২০২৫ (ইউটিসি)
::@[[ব্যবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] ? ≈ <b style="border:1.5px solid #736AFF;font-family:georgia;font-variant:small-caps">[[User:MS_Sakib|<b style="background-color:#FBB117;color:#7E2217">MS Sakib </b>]][[User talk:MS Sakib| «আলাপ»]]</b> ২১:৪৩, ৩ জুলাই ২০২৫ (ইউটিসি)
:::{{উত্তর|SMontaha32|MS Sakib}} ''[[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/পেশাদার লেখনী সম্বন্ধে]]'' পাতাটি গৃহীত হয়েছে। ''[[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/স্যাম্পলড ডেটা সিস্টেম]]'' এবং ''[[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/রাউথ-হারউইটজ মানদণ্ড]]'' পাতাদুটির সমীকরণে ভুল আছে আর কাঠামো ঠিক নেই। এছাড়াও কিছু ক্ষেত্রে অনুবাদে যান্ত্রিকতা রয়ে গেছে। তাই, পাতাদুটি গৃহীত হয়নি। –– [[ব্যবহারকারী:Tahmid|তাহমিদ]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:Tahmid|আলাপ]]) ০৬:০০, ৪ জুলাই ২০২৫ (ইউটিসি)
::::@[[ব্যবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] ধন্যবাদ। তবে এতদিন দেরি করার কারণ কী? প্রতিযোগী প্রতিযোগিতা শেষ হওয়ার আগেই আপনাকে জানিয়েছিল। কিন্তু আপনি ২৫+ দিন পর রেসপন্স করেছেন। এখন প্রতিযোগিতা ক্লোজ হয়ে গেলে প্রতিযোগীর কিছুই করার থাকবে না! ≈ <b style="border:1.5px solid #736AFF;font-family:georgia;font-variant:small-caps">[[User:MS_Sakib|<b style="background-color:#FBB117;color:#7E2217">MS Sakib </b>]][[User talk:MS Sakib| «আলাপ»]]</b> ০৬:৪৮, ৪ জুলাই ২০২৫ (ইউটিসি)
:::::{{উত্তর|MS Sakib}} প্রথমত, [[উইকিবই:উইকিবই লিখন প্রতিযোগিতা ২০২৫/পর্যালোচনা নীতিমালা|পর্যালোচনার নিয়মানুযায়ী]] একটি পাতা কেবল একবার সংশোধনের সুযোগ দেওয়া হবে। তাই, ২য় পর্যালোচনার পরে এখন উক্ত পাতাগুলো যদি ব্যবহারকারী সংশোধন করেনও, তবুও তা প্রতিযোগিতায় গৃহীত হবে না। দ্বিতীয়ত, পাতা যে আমাকেই পুনঃপর্যালোচনা করতে হবে এমন না। আপনিও চাইলে পর্যালোচনা করতে পারতেন। –– [[ব্যবহারকারী:Tahmid|তাহমিদ]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:Tahmid|আলাপ]]) ০৮:৪৬, ৪ জুলাই ২০২৫ (ইউটিসি)
::::::@[[ব্যবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] পর্যালোচনার ক্ষেত্রে এই নিয়মটা পুরোপুরি স্ট্রিক্টলি ফলো করা হচ্ছে না। বড় কোনো সমস্যা না থাকলে ছাড় দেওয়া হচ্ছে। [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/স্যাম্পলড ডেটা সিস্টেম]] পাতায় যেমনটা বললেন, সমীকরণে ভুল (আমি কেবল ১টায় পেলাম), এটা ঠিক করা ১ মিনিটেরর কম সময়ের ব্যাপার। এটা আমরা পর্যালোচকেরাই ঠিক করে দেই। এই তুচ্ছ বিষয়ে পুরো পাতা রিজেক্ট করার কোনো মানে হয় না। তাছাড়া প্রতিযোগী প্রতিযোগিতা শেষ হওয়ার আগেই আপনাকে জানিয়েছে।
::::::দ্বিতীয়ত, '''পাতা আপনাকেই পুনঃপর্যালোচনা করতে হবে'''। একান্তই কোনও সমস্যার কারণে কারণে আপনি পুনঃপর্যালোচনা করতে না পারলে সেটা তো অন্তত জানাতে হবে। আপনাকে প্রতিযোগী এখানে দুইবার মেনশন করেছে, আমি টেলিগ্রামে ২ বার জানিয়েছি, একবারও ন্যূনতম কোনো রেসপন্স করেননি। এটার কারণ কী? ≈ <b style="border:1.5px solid #736AFF;font-family:georgia;font-variant:small-caps">[[User:MS_Sakib|<b style="background-color:#FBB117;color:#7E2217">MS Sakib </b>]][[User talk:MS Sakib| «আলাপ»]]</b> ১১:২৪, ৪ জুলাই ২০২৫ (ইউটিসি)
:::::::{{উত্তর|MS Sakib}} আমি যেখানে একবার চোখ বুলিয়ে ১৫টা সমীকরণের কাঠামোয় ভুল পেলাম, সেখানে আপনি মাত্র এক জায়গায় ভুল পেয়েছেন বলার কারণ বুঝলাম না। ইংরেজি উইকির পাতার সাথে বাংলা পাতাটির তুলনা করে দেখুন। –– [[ব্যবহারকারী:Tahmid|তাহমিদ]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:Tahmid|আলাপ]]) ১২:২৪, ৪ জুলাই ২০২৫ (ইউটিসি)
::::::::@[[ব্যবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] আচ্ছা, ভুল আছে বুঝলাম। কিন্তু রেসপন্স না করার কারণ কী? আপনাকে বারবার জানানো হচ্ছিল। আপনি ২৫+ দিন পর রেসপন্স করেছেন।
::::::::আপনি ২য়বার পর্যালোচনা করা হবে না, এই নিয়মের উল্লেখ করেছেন। কিন্তু [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/স্যাম্পলড ডেটা সিস্টেম]] পাতায় ফাউন্টেনে বলেছেন কেবল "যান্ত্রিক অনুবাদ; Geometric progression = গুণোত্তর ধারা"। সমীকরণে ভুলের কথা একবারও উল্লেখ করেননি। প্রতিযোগী আপনার বলা সমস্যা সমাধানের পর যদি আপনি নতুন সমস্যা পান, সেজন্য প্রতিযোগীকে অবশ্যই সময় দিতে হবে। আপনি যদি শুরুতেই সমীকরণের ভুলের কথা উল্লেখ করতেন, তাহলে নিয়মটা প্রাসঙ্গিক হতো।
::::::::যাইহোক, এখনও আমার মূল প্রশ্ন হচ্ছে, গত ২৫+ দিনে প্রতিযোগী সহ আমিও একাধিক জায়গায় আপনাকে জানানো হলেও রেসপন্স না করার কারণ কী? ≈ <b style="border:1.5px solid #736AFF;font-family:georgia;font-variant:small-caps">[[User:MS_Sakib|<b style="background-color:#FBB117;color:#7E2217">MS Sakib </b>]][[User talk:MS Sakib| «আলাপ»]]</b> ১২:৩১, ৪ জুলাই ২০২৫ (ইউটিসি)
== [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/স্ট্রিং ডেটা টাইপ]] ==
উক্ত পাতাটির কাঠামো কেউ একজন পরিবর্তন করে ফেলেছে । এটিকে পূর্বাবস্থায় কীভাবে নিয়ে যাবো? যাতে করে পুনরায় যাচাই করতে পারেন? [[ব্যবহারকারী:MD Abu Siyam|MD Abu Siyam]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:MD Abu Siyam|আলাপ]]) ০৭:৩৩, ১৩ জুন ২০২৫ (ইউটিসি)
:{{উত্তর|MD Abu Siyam}} পাতাটিকে আমি আগের অবস্থায় ফিরিয়ে এনেছি এবং প্রতিযোগিতায় পাতাটি গ্রহণ করেছি। তবে, কোনো সম্পাদনা বাতিল করতে চাইলে ঐ পাতার ইতিহাসে যাবেন। তাহলে সম্পাদনার পাশে "পূর্বাবস্থায় ফেরত" অপশন পাবেন। সেখানে ক্লিক করলে সম্পাদনাটি বাতিল হয়ে যাবে। –– [[ব্যবহারকারী:Tahmid|তাহমিদ]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:Tahmid|আলাপ]]) ১২:৩৪, ১৩ জুন ২০২৫ (ইউটিসি)
== [[সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/যৌনতা]] ==
পাতাটি সংশোধন করা হয়েছে [[ব্যবহারকারী:M.Asaduzzaman sahed|M.Asaduzzaman sahed]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:M.Asaduzzaman sahed|আলাপ]]) ২০:১৯, ৬ জুলাই ২০২৫ (ইউটিসি)
:{{উত্তর|M.Asaduzzaman sahed}} আপনি পাতাটি সংশোধন করার পরেও অনুবাদে অনেক ভুল রয়ে গেছে। উদাহরণসরূপ আমি কিছু বাক্য উল্লেখ করলাম:
:* যৌন অভিমুখ হলো কারো প্রতি সৌন্দর্য, রোমান্টিক বা যৌন আকর্ষণের নির্দিষ্ট ধারা—পুরুষ, নারী, উভয়, '''নেই কোনটাই''', অথবা অন্য কোনো লিঙ্গ হতে পারে।
:* সাধারণভাবে ‘'''বৈরেলিঙ্গ'''’, ‘সমলিঙ্গ’, ‘উভয়লিঙ্গ’ এই তিন বিভাগে তা ভাগ করা হয়ে থাকে।
:* যৌনবিজ্ঞান, জনসংখ্যাবিজ্ঞান আর ইতিহাসের কিছু গবেষকের মতে, বৈরেলিঙ্গ বা সমলিঙ্গ '''κοινων''' সবার জন্য নয়।
:* যৌন নির্যাতনের একটি ধরন হলো ধর্ষণ। এটি অনেক বেশি প্রচলিত, '''যতটা মানুষ সাধারণত মনে করে না'''।
:* “নিপীড়নমূলক মডেল” ধারণা মূলত মিডিয়ায় প্রচারিত অতিরঞ্জিত ঘটনাগুলোর ওপর ভিত্তি করে এবং '''Straßen (রাস্তার)''' বণ্যাবৃত্তির ওপর যা দৃষ্টি বেশি, যা ভিতরে বা অন্য মাধ্যমে পরিচালিত কাজের সঙ্গে তুলনীয় নয়। রাস্তার বণ্যপ্রসূদের ২৭% '''assaulted''', ৩৭% লুটপাট ও ২২% ধর্ষণের শিকার।
:* তবে যুক্তরাষ্ট্রে মাত্র ২০% '''বণ্যপ্রসূ''' রোগীরা রাস্তার পথে কাজ করেন, বাকিরা গোপনে ক্লায়েন্টদের সাথে দেখা করেন, অনলাইনে, ম্যাগাজিন/পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের মাধ্যমেও ক্লায়েন্ট পান বা '''এস্কোর্ট қызметে''' নিয়োজিত।
:এরকম প্রচুর ভুল রয়েছে। ফলে পাতাটি গ্রহণ করা হয়নি। –– [[ব্যবহারকারী:Tahmid|তাহমিদ]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:Tahmid|আলাপ]]) ১২:০৬, ৭ জুলাই ২০২৫ (ইউটিসি)
mcx5ymtasyisde0wndwwf1tktw1lhyj
ব্যবহারকারী আলাপ:MdsShakil
3
10826
85798
85740
2025-07-07T20:32:26Z
MdsShakil
7280
/* প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/শীতলকারী পাখার শব্দ */ উত্তর
85798
wikitext
text/x-wiki
{{সংগ্রহশালাসমূহ}}
== সমাধান প্রয়োজন ==
আমি [[ইউরোপের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস/১৯১৪ সাল থেকে ইউরোপ|একটা পাতা]] নিয়ে কাজ করার উদ্দেশ্যে ওতে আমার নাম যোগ করে রেখেছিলাম। তখনও পাতাটির শিরোনাম লাল রঙের দেখাচ্ছিল অর্থাৎ পাতাটিতে কেউ তখনও লেখা শুরু করে নি। কিন্তু পরবর্তীতে অনুবাদ শেষ করার পর পাতা সম্পাদনা করতে গিয়ে দেখি অন্য একজন সেটা সম্পাদনা করেছে এবং জমা দিয়ে দিয়েছে। অন্যের নামে যোগ করা পাতা সম্পাদনা করা কি শৃঙ্খলাবহির্ভূত নয়? [[ব্যবহারকারী:কমলেশ মন্ডল|কমলেশ মন্ডল]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:কমলেশ মন্ডল|আলাপ]]) ১৩:১১, ৭ জুন ২০২৪ (ইউটিসি)
:আপনার শুরু করার সময় কার কোনো প্রমাণ দিতে পারলে আপনার অনুবাদ তা স্বীকৃতি পাবে [[বিশেষ:অবদান/103.215.227.181|103.215.227.181]] ১৩:২৩, ২১ জুন ২০২৪ (ইউটিসি)
== Article check ==
আমার লেখা আর্টিকেলটি পুনরায় পর্যবেক্ষণ করার জন্য অনুরোধ করছি
উইকিশৈশব:মজার বৈজ্ঞানিক গবেষণা/How to make a needle float, and how to make it sink [[ব্যবহারকারী:MR.ANABRATA GUCHAIT|MR.ANABRATA GUCHAIT]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:MR.ANABRATA GUCHAIT|আলাপ]]) ০৪:১৫, ৮ জুন ২০২৪ (ইউটিসি)
:@[[ব্যবহারকারী:MR.ANABRATA GUCHAIT|MR.ANABRATA GUCHAIT]] পাতাটি বাংলা ভাষায় লিখুন —[[ব্যবহারকারী:MdsShakil|শাকিল]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:MdsShakil|আলাপ]]) ০৮:২৮, ৯ জুন ২০২৪ (ইউটিসি)
::ঠিক আছে [[ব্যবহারকারী:MR.ANABRATA GUCHAIT|MR.ANABRATA GUCHAIT]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:MR.ANABRATA GUCHAIT|আলাপ]]) ১৫:৫২, ১১ জুন ২০২৪ (ইউটিসি)
== Point ==
'''আমার লেখা প্রতিটি আর্টিক্যালে আপনি শূন্য পয়েন্ট দিচ্ছেন। আপনি পুনরায় ভালো করে আর্টিক্যালগুলি চেক করে দেখুন! কোন ত্রুটি নেই, নিজের লেখা আর্টিক্যাল।
দয়া করে আর্টিকেল গুলির পূর্ণ মর্যাদা দিয়ে নাম্বার দেবেন।
খাতা সংশোধন করার পরে নম্বর দেওয়ার অনুমতি আছে, কিছু আপনি দিচ্ছেন না।
আমার কর্তব্য সবাইয়ের কাছে সহজ ভাবে বিষযগুলির ব্যাখ্যা দেওয়া, আপনার পছন্দ হলে গ্রহণ করবেন।
সবকিছুই সময়ের উপর নির্ভর করে।
'''
আপনি যখন পয়েন্ট দিচ্ছেন তার টাইম কোন নির্দিষ্ট নেই, খাতা অসম্পূর্ণ অবস্থাতেই পয়েন্ট দিচ্ছেন, যেগুলো পয়েন্ট দেননি তো দেন-ই-নি।
[[ব্যবহারকারী:MR.ANABRATA GUCHAIT|MR.ANABRATA GUCHAIT]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:MR.ANABRATA GUCHAIT|আলাপ]]) ১২:০৫, ১২ জুন ২০২৪ (ইউটিসি)
:@[[ব্যবহারকারী:MR.ANABRATA GUCHAIT|MR.ANABRATA GUCHAIT]] পাতা সম্পূর্ণ না করে জমা দিবেন না। গৃহিত হয়নি এমন পাতা সংশোধন করে জানালে সেটা পুনরায় পর্যালোচনা করা হবে। —[[ব্যবহারকারী:MdsShakil|শাকিল]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:MdsShakil|আলাপ]]) ১২:০৯, ১২ জুন ২০২৪ (ইউটিসি)
::এখনো পর্যন্ত আমি যে কটা আর্টিকেল বা পাতা লিখেছি সবকটি আজকেই সংশোধন করা হয়েছে দেখতে পারেন। [[ব্যবহারকারী:MR.ANABRATA GUCHAIT|MR.ANABRATA GUCHAIT]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:MR.ANABRATA GUCHAIT|আলাপ]]) ১২:৪৭, ১২ জুন ২০২৪ (ইউটিসি)
:::@[[ব্যবহারকারী:MR.ANABRATA GUCHAIT|MR.ANABRATA GUCHAIT]] আপনার লেখা পাতাগুলো গুগল অনুবাদ বা যান্ত্রিক অনুবাদে পরিপূর্ণ। এগুলো সরল ও প্রাজ্ঞল ভাষায় লিখুন যাতে পড়লেই সহজে বোঝা যায়। —[[ব্যবহারকারী:MdsShakil|শাকিল]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:MdsShakil|আলাপ]]) ১৩:৩৭, ১২ জুন ২০২৪ (ইউটিসি)
== ফাউনন্টেন সমাধান ==
উইকিশৈশব:ভাষা/আইসল্যান্ডীয়
যোগ করতে পারছি না ফাউনন্টেনের মাধ্যমে। বলছে-
Another user has already added this article to the editathon [[ব্যবহারকারী:Vilen09|Vilen09]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:Vilen09|আলাপ]]) ০৭:২০, ২৬ জুন ২০২৪ (ইউটিসি)
:@[[ব্যবহারকারী:Vilen09|Vilen09]] এখন চেষ্টা করুন। —[[ব্যবহারকারী:MdsShakil|শাকিল]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:MdsShakil|আলাপ]]) ০৮:৫১, ২৬ জুন ২০২৪ (ইউটিসি)
::ধন্যবাদ [[ব্যবহারকারী:Vilen09|Vilen09]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:Vilen09|আলাপ]]) ০৪:০০, ২৭ জুন ২০২৪ (ইউটিসি)
== টুলফোর্জ এ সমস্যা ==
প্রতিযোগিতার সময়সীমা কি বাড়ানো হয়েছে? টুলফোর্জ কিন্তু দেখাচ্ছে এখনো ১৭ ঘণ্টা বাকি আছে। [[ব্যবহারকারী:কমলেশ মন্ডল|কমলেশ মন্ডল]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:কমলেশ মন্ডল|আলাপ]]) ০৬:৪৫, ১ জুলাই ২০২৪ (ইউটিসি)
:@[[ব্যবহারকারী:কমলেশ মন্ডল|কমলেশ মন্ডল]] নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তৈরি পাতাগুলো এই সময়ে শুধুমাত্র জমা দেওয়া যাবে, সময় বৃদ্ধি করা হয়নি। —[[ব্যবহারকারী:MdsShakil|শাকিল]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:MdsShakil|আলাপ]]) ০৬:৪৭, ১ জুলাই ২০২৪ (ইউটিসি)
== A barnstar for you! ==
{| style="background-color: #fdffe7; border: 1px solid #fceb92;"
|rowspan="2" style="vertical-align: middle; padding: 5px;" | [[চিত্র:Original Barnstar Hires.png|100px]]
|style="font-size: x-large; padding: 3px 3px 0 3px; height: 1.5em;" | '''The Original Barnstar'''
|-
|style="vertical-align: middle; padding: 3px;" | original [[ব্যবহারকারী:Md Aahradul Islam Tasin|Md Aahradul Islam Tasin]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:Md Aahradul Islam Tasin|আলাপ]]) ০৯:২৫, ৫ জুলাই ২০২৪ (ইউটিসি)
|}
== সংশোধন করা হলো ==
জনাব,<br>
শিক্ষাক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি/লেখক<br>
শিক্ষাক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি/তথ্যসূত্র<br>
শিক্ষাক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি/আরো পড়ুন<br>
শিক্ষাক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি/শিক্ষায় আইসিটি একীভূত করার ক্ষেত্রে মূল চ্যালেঞ্জ<br>
শিক্ষাক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি/শিক্ষায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহারের সমস্যা<br>
শিক্ষাক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি/শিক্ষায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার<br>
শিক্ষাক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি/শিক্ষায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির প্রতিশ্রুতি<br>
শিক্ষাক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি/ভূমিকা<br>
পাতাগুলো সংশোধন করা হলো<br>
এগুলি ইংরেজি https://en.wikibooks.org/wiki/ICT_in_Education পা্তা থেকে অনুবা্দ করা হয়েছে [[ব্যবহারকারী:Rajan chandra Saha Raju|Rajan chandra Saha Raju]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:Rajan chandra Saha Raju|আলাপ]]) ০৭:১০, ৮ জুলাই ২০২৪ (ইউটিসি)
:@[[ব্যবহারকারী:Rajan chandra Saha Raju|Rajan chandra Saha Raju]] পাতাগুলোতে থাকা যান্ত্রিক ও জটিলতায় পরিপূর্ণ অনুবাদ গুলো প্রাঞ্জল ও সরল ভাষায় লিখতে হবে, আমি এখনও পাতাগুলোতে যান্ত্রিক অনুবাদ দেখতে পাচ্ছি। পাতাগুলো নিজের ভাষায় বুঝিয়ে লিখুন। —[[ব্যবহারকারী:MdsShakil|শাকিল]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:MdsShakil|আলাপ]]) ১৪:২৭, ৮ জুলাই ২০২৪ (ইউটিসি)
::সবগুলি পাতা সংশোধন করা হয়েছে। এবা্র একটু দেখুন। [[ব্যবহারকারী:Rajan chandra Saha Raju|Rajan chandra Saha Raju]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:Rajan chandra Saha Raju|আলাপ]]) ১০:৩৯, ১২ জুলাই ২০২৪ (ইউটিসি)
== ইলেকট্রনিক্সে হাতেখড়ি/সেমিকন্ডাক্টর ==
ইলেকট্রনিক্সে হাতেখড়ি/সেমিকন্ডাক্টর পাতাটি সংশোধন দেখে জানাবেন ঠিক আছে কিনা। [[ব্যবহারকারী:Rajan chandra Saha Raju|Rajan chandra Saha Raju]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:Rajan chandra Saha Raju|আলাপ]]) ১০:২৪, ১২ জুলাই ২০২৪ (ইউটিসি)
== সংশোধন করা হলো ==
পরিবহনে বিজ্ঞান/সময়সূচী ও সময় নির্ধারণ - এটা যান্ত্রিক অনুবাদ সংশোধন করা হল। [[ব্যবহারকারী:Sourav saha032|Sourav saha032]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:Sourav saha032|আলাপ]]) ১৬:১৪, ১৭ জুলাই ২০২৪ (ইউটিসি)
== উইকিবই লিখন প্রতিযোগিতা ২০২৪: তথ্য প্রদানের অনুরোধ ==
{| style="margin: 1em 4em;"
|- valign="top"
| [[চিত্র:Wikibooks Writing Contest.svg|146px|link=উইকিবই:উইকিবই লিখন প্রতিযোগিতা ২০২৪]]
| <div style="background-color:#f4f3f0; color: #393D38; padding: 0.4em 1em;border-radius:10px;">
সুপ্রিয় MdsShakil,<br>[[উইকিবই:উইকিবই লিখন প্রতিযোগিতা ২০২৪|উইকিবই লিখন প্রতিযোগিতা ২০২৪]]-এ অংশগ্রহণের জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ। আপনি জেনে আনন্দিত হবেন যে, আপনার জমা দেয়া এক বা একাধিক পাতা প্রতিযোগিতায় গৃহীত হয়েছে। আপনাকে অভিনন্দন! আয়োজক দল পুরস্কার প্রদানের উদ্দেশ্যে তথ্য সংগ্রহ করছে। তাই আমরা আপনাকে '''[https://docs.google.com/forms/d/e/1FAIpQLSepliAn9c9o4ISEM6ck_jWW0H_W0pr9596OfZAGy6q_UfTOFw/viewform?usp=sf_link এই ফর্মটি পূরণ করতে] অনুরোধ করছি'''। যদি আপনি ইতোমধ্যেই ফর্মটি পূরণ করে থাকেন, তাহলে দয়া করে দ্বিতীয়বার পূরণ করবেন না। আপনার সম্পাদনা-যাত্রা শুভ হোক। প্রতিযোগিতার আয়োজক দলের পক্ষে —[[ব্যবহারকারী:MdsShakil|শাকিল]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:MdsShakil|আলাপ]]) ১০:৩৩, ২৯ জুলাই ২০২৪ (ইউটিসি)
</div>
|}
<!-- https://bn.wikibooks.org/w/index.php?title=%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%AC%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%80:MdsShakil/%E0%A6%96%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%98%E0%A6%B0&oldid=69608-এর তালিকা ব্যবহার করে বার্তাটি ব্যবহারকারী:MdsShakil@bnwikibooks পাঠিয়েছেন -->
== উইকিবই লিখন প্রতিযোগিতা ২০২৪ পদক ==
{| style="background-color: #fdffe7; border: 1px solid #fceb92;"
|rowspan="2" style="vertical-align: middle; padding: 5px;" | [[চিত্র:Wikibooks Writing Contest barnstar.svg|100px]]
|style="font-size: x-large; padding: 3px 3px 0 3px; height: 1.5em;" | '''উইকিবই লিখন প্রতিযোগিতা ২০২৪ পদক'''
|-
|style="vertical-align: middle; padding: 3px;" | সুপ্রিয় MdsShakil,<br />বাংলা উইকিবইয়ে সম্প্রতি আয়োজিত, '''[[উইকিবই:উইকিবই লিখন প্রতিযোগিতা ২০২৪|উইকিবই লিখন প্রতিযোগিতা ২০২৪]]''' শীর্ষক গ্রন্থলিখন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করায় আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। প্রতিযোগিতায় তালিকাভুক্ত গ্রন্থ/গ্রন্থপৃষ্ঠা তৈরির মাধ্যমে বাংলা উইকিবইয়ের অগ্রযাত্রা ত্বরান্বিত করতে ভূমিকা রাখায়, শুভেচ্ছাস্মারক হিসেবে আপনাকে এই উইকিপদকটি প্রদান করা হলো। আশা করি বাংলা উইকিবইয়ের পথচলায় আপনার সরব ভূমিকা অব্যাহত থাকবে। সুস্থ, সুন্দর ও নিরাপদে থাকুন।
<br />শুভেচ্ছান্তে,
<br />'''[[User:MdsShakil|শাকিল হোসেন]]'''
<br />সমন্বয়ক, উইকিবই লিখন প্রতিযোগিতা ২০২৪
<br />১০:৩৩, ২৪ আগস্ট ২০২৪ (ইউটিসি)
|}
<!-- https://bn.wikibooks.org/w/index.php?title=%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%AC%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%80:MdsShakil/%E0%A6%96%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%98%E0%A6%B0&oldid=69912-এর তালিকা ব্যবহার করে বার্তাটি ব্যবহারকারী:MdsShakil@bnwikibooks পাঠিয়েছেন -->
== টেমপ্লেট:তাক ==
@[[ব্যবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] কিছু সমস্যা ছিল টেমপ্লেটে তবে সেগুলো সংশোধন করেছি। সময় পেলে একটু পরীক্ষা করে দেখবেন [[ব্যবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:R1F4T|আলাপ]]) ১১:৩৫, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ (ইউটিসি)
:@[[ব্যবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] আপনি না একবার সংশোধন করেছিলেন? কি সমস্যা হয়েছিলো আবার? —[[ব্যবহারকারী:MdsShakil|শাকিল]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:MdsShakil|আলাপ]]) ১৮:০৭, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ (ইউটিসি)
::বিষয়শ্রেণী যুক্ত হচ্ছিল না। [[ব্যবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:R1F4T|আলাপ]]) ০২:১১, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ (ইউটিসি)
:::টেমপ্লেট:বিভাগ এও কিছু সমস্যা পেয়েছি বিকালে ঠিক করব ইনশাল্লাহ [[ব্যবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:R1F4T|আলাপ]]) ০২:২৮, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ (ইউটিসি)
== Notice of expiration of your sysop right ==
<div dir="ltr">Hi, as part of [[:m:Special:MyLanguage/Global reminder bot|Global reminder bot]], this is an automated reminder to let you know that your permission "sysop" (প্রশাসক) will expire on 2025-04-06 14:24:19. Please renew this right if you would like to continue using it. <i>In other languages: [[:m:Special:MyLanguage/Global reminder bot/Messages/default|click here]]</i> [[ব্যবহারকারী:Leaderbot|Leaderbot]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:Leaderbot|আলাপ]]) ১৯:৪২, ৩০ মার্চ ২০২৫ (ইউটিসি)</div>
== [[টেমপ্লেট:Printable]] ==
[[টেমপ্লেট:Printable]] কাজ করছে না। দয়া করে নিশ্চিত করুন যে এটি সঠিকভাবে কাজ করা। [[ব্যবহারকারী:Somajyoti|Somajyoti]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:Somajyoti|আলাপ]]) ১৪:০৬, ১০ মে ২০২৫ (ইউটিসি)
== [[উইকিবই:উইকিবই লিখন প্রতিযোগিতা ২০২৫|উইকিবই লিখন প্রতিযোগিতা ২০২৫: অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ]] ==
{| style="background-color: #f8f9fa; border: 1px solid #ced4da; padding:10px; color: #212529;"
|-
|[[File:Bangla Wikibooks Writing contest 2025 Banner (2).png|frameless|center|300px|link=[[উইকিবই:উইকিবই লিখন প্রতিযোগিতা ২০২৫]]]]<br/>
সুপ্রিয় MdsShakil,
আশা করি এই গ্রীষ্মের এই রৌদ্রোজ্জ্বল তপ্ত আবহাওয়াতেও ভালো আছেন। আপনার জ্ঞাতার্থে জানাচ্ছি যে, গত ৭ মে থেকে বাংলা উইকিবইয়ে '''[[উইকিবই:উইকিবই লিখন প্রতিযোগিতা ২০২৫|উইকিবই লিখন প্রতিযোগিতা ২০২৫]]''' শীর্ষক একটি বই লিখন ও অনুবাদ প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। আপনাকে এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। প্রতিযোগিতাটি অভিজ্ঞ, অনভিজ্ঞ ও নতুন ব্যবহারকারী সকলের জন্যই মুক্ত।
অন্যান্য ভাষার উইকিবইয়ের চাইতে বাংলা উইকিবইয়ে অবদানকারীর সংখ্যা নিতান্তই কম, এমনকি সংখ্যাটি বাংলা উইকিপিডিয়ার তুলনায়ও নগণ্য। অথচ ডিজিটাল বইয়ের এই যুগে বাংলা উইকিবই যথেষ্ট গুরত্বের দাবি রাখে। এজন্য আমাদের আরও স্বেচ্ছাসেবক প্রয়োজন। আশা করি আপনি এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবেন ও উইকিবইকে সমৃদ্ধ করবেন। বিস্তারিত [[উইকিবই:উইকিবই লিখন প্রতিযোগিতা ২০২৫|প্রকল্প পাতায়]] দেখুন।
'''শীর্ষ অবদানকারীদের জন্য পুরষ্কার'''
* ১ম স্থান অধিকারকারী ― ৬০০০ টাকার গিফট ভাউচার ও মুদ্রিত সনদপত্র
* ২য় স্থান অধিকারকারী ― ৪০০০ টাকার গিফট ভাউচার ও মুদ্রিত সনদপত্র
* ৩য় স্থান অধিকারকারী ― ৩০০০ টাকার গিফট ভাউচার ও মুদ্রিত সনদপত্র
* ৪র্থ স্থান অধিকারকারী ― ২৫০০ টাকার গিফট ভাউচার ও মুদ্রিত সনদপত্র
* ৫ম স্থান অধিকারকারী ― ২০০০ টাকার গিফট ভাউচার ও মুদ্রিত সনদপত্র
* ৬ষ্ঠ থেকে ১০তম স্থান অধিকারকারী (৫ জন) ― ৫০০ টাকার গিফট ভাউচার ও মুদ্রিত সনদপত্র
* কমপক্ষে একটি পাতা গৃহীত হলে ― ডিজিটাল সনদপত্র
প্রতিযোগিতায় আপনাকে স্বাগত।<br />
শুভেচ্ছান্তে, <br /> —[[ব্যবহারকারী:MdsShakil|শাকিল]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:MdsShakil|আলাপ]]) ০৬:৪৪, ১১ মে ২০২৫ (ইউটিসি)
|}
<!-- https://bn.wikibooks.org/w/index.php?title=%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%AC%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%80:MdsShakil/%E0%A6%97%E0%A6%A3%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BE&oldid=74028-এর তালিকা ব্যবহার করে বার্তাটি ব্যবহারকারী:MdsShakil@bnwikibooks পাঠিয়েছেন -->
== [[রন্ধনপ্রণালী:ঘেভার]] ==
পরিবর্তন করা হয়েছে, যাচাই করুন [[ব্যবহারকারী:MD Abu Siyam|MD Abu Siyam]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:MD Abu Siyam|আলাপ]]) ০১:২৪, ১২ জুন ২০২৫ (ইউটিসি)
== [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/শীতলকারী পাখার শব্দ]] ==
পাতাটি ঠিক করা হয়েছে [[ব্যবহারকারী:M.Asaduzzaman sahed|M.Asaduzzaman sahed]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:M.Asaduzzaman sahed|আলাপ]]) ২০:০০, ৬ জুলাই ২০২৫ (ইউটিসি)
:@[[ব্যবহারকারী:M.Asaduzzaman sahed|M.Asaduzzaman sahed]] পাতাটিকে এখনও ইংরেজি পরিভাষা এবং যান্ত্রিক অনুবাদ বিদ্যমান। —[[ব্যবহারকারী:MdsShakil|শাকিল]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:MdsShakil|আলাপ]]) ২০:৩২, ৭ জুলাই ২০২৫ (ইউটিসি)
8iee0gaqo5r4ohge9he3uvpt8ve7u5w
ব্যবহারকারী:MdsShakil/খেলাঘর
2
11523
85834
78127
2025-07-08T09:23:20Z
MdsShakil
7280
85834
wikitext
text/x-wiki
== উইকিবই লিখন প্রতিযোগিতা ২০২৫: তথ্য প্রদানের অনুরোধ ==
{| style="margin: 1em 4em;"
|- valign="top"
| [[চিত্র:Wikibooks Writing Contest.svg|146px|link=উইকিবই:উইকিবই লিখন প্রতিযোগিতা ২০২৫]]
| <div style="background-color:#f4f3f0; color: #393D38; padding: 0.4em 1em;border-radius:10px;">
সুপ্রিয় {{BASEPAGENAME}},<br>[[উইকিবই:উইকিবই লিখন প্রতিযোগিতা ২০২৫|উইকিবই লিখন প্রতিযোগিতা ২০২৫]]-এ অংশগ্রহণের জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ। আপনি জেনে আনন্দিত হবেন যে, আপনার জমা দেয়া এক বা একাধিক পাতা [[উইকিবই:উইকিবই লিখন প্রতিযোগিতা ২০২৫/ফলাফল|প্রতিযোগিতায় গৃহীত হয়েছে]]। আপনাকে অভিনন্দন! আয়োজক দল পুরস্কার প্রদানের উদ্দেশ্যে তথ্য সংগ্রহ করছে। তাই আমরা আপনাকে '''[ এই ফর্মটি পূরণ করতে] অনুরোধ করছি'''। যদি আপনি ইতোমধ্যেই ফর্মটি পূরণ করে থাকেন, তাহলে দয়া করে দ্বিতীয়বার পূরণ করবেন না। আপনার সম্পাদনা-যাত্রা শুভ হোক। প্রতিযোগিতার আয়োজক দলের পক্ষে —[[ব্যবহারকারী:MdsShakil|শাকিল]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:MdsShakil|আলাপ]])
</div>
|}
kaqapncr6vt916ldac77jbougkek0qt
ব্যবহারকারী:MdsShakil/common.js
2
11741
85843
82290
2025-07-08T10:28:12Z
MdsShakil
7280
85843
javascript
text/javascript
//Special:MassDelete পাতায় লোড হবে
mw.loader.load('//en.wikipedia.org/w/index.php?title=User:Animum/massdelete.js&action=raw&ctype=text/javascript');
//পুনর্নির্দেশক
mw.loader.load('//bn.wikipedia.org/w/index.php?title=ব্যবহারকারী:ইয়াহিয়া/পুনর্নির্দেশক.js&action=raw&ctype=text/javascript');
//গণ-রোলব্যাক
mw.loader.load('//bn.wikipedia.org/w/index.php?title=ব্যবহারকারী:MdsShakil/massRollback.js&action=raw&ctype=text/javascript');
//VisualEditorEverywhere
if (mw.config.get('wgNamespaceNumber') === 4) {
mw.loader.load('https://bn.wiktionary.org/w/index.php?title=মিডিয়াউইকি:Gadget-VisualEditorEverywhere.js&action=raw&ctype=text/javascript');
}
920306xyc50zn1hac6qb289e3clo472
ব্যবহারকারী আলাপ:R1F4T
3
18208
85823
85559
2025-07-08T07:48:26Z
Md Mobashir Hossain
10853
/* পুনঃপর্যালোচনার আবেদন */ উত্তর
85823
wikitext
text/x-wiki
== বাংলা উইকিবইয়ে স্বাগত ==
{{স্বাগত/২য় সংস্করণ}} ১৮:৪০, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ (ইউটিসি)
== সম্পাদনা দ্বন্দ্ব ==
প্রিয় R1F4T,
বই সম্পাদনা কালে আমি আপনার সম্পাদনা করতে চাওয়া ([[:en:Famous Theorems of Mathematics/Pythagorean trigonometric identity|Famous Theorems of Mathematics/Pythagorean trigonometric identity]]) পাতাটি বইয়ের ভিতরে গিয়ে তৈরি না অবস্থায় পাওয়ার পর [[গণিতের বিখ্যাত উপপাদ্য/পিথাগোরাসের ত্রিকোণোমিতির অভেদক|তৈরি করে ফেলেছি]]। কিন্তু আপনি সম্পাদান করতে চেয়েছেন এটা আগে খেয়াল করতে পারিনি। এজন্য দুঃখ প্রকাশ করছি।
[[ব্যবহারকারী:Ashiqur Rahman|Ashiqur Rahman]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:Ashiqur Rahman|আলাপ]]) ১৪:১৯, ৪ জুন ২০২৪ (ইউটিসি)
:সমস্যা নেই। আপনি করুন অনুবাদ [[ব্যবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:R1F4T|আলাপ]]) ১৪:২৯, ৪ জুন ২০২৪ (ইউটিসি)
== [[উইকিবই:উইকিবই লিখন প্রতিযোগিতা ২০২৫|উইকিবই লিখন প্রতিযোগিতা ২০২৫: অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ]] ==
{| style="background-color: #f8f9fa; border: 1px solid #ced4da; padding:10px; color: #212529;"
|-
|[[File:Bangla Wikibooks Writing contest 2025 Banner (2).png|frameless|center|300px|link=[[উইকিবই:উইকিবই লিখন প্রতিযোগিতা ২০২৫]]]]<br/>
সুপ্রিয় R1F4T,
আশা করি এই গ্রীষ্মের এই রৌদ্রোজ্জ্বল তপ্ত আবহাওয়াতেও ভালো আছেন। আপনার জ্ঞাতার্থে জানাচ্ছি যে, গত ৭ মে থেকে বাংলা উইকিবইয়ে '''[[উইকিবই:উইকিবই লিখন প্রতিযোগিতা ২০২৫|উইকিবই লিখন প্রতিযোগিতা ২০২৫]]''' শীর্ষক একটি বই লিখন ও অনুবাদ প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। আপনাকে এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। প্রতিযোগিতাটি অভিজ্ঞ, অনভিজ্ঞ ও নতুন ব্যবহারকারী সকলের জন্যই মুক্ত।
অন্যান্য ভাষার উইকিবইয়ের চাইতে বাংলা উইকিবইয়ে অবদানকারীর সংখ্যা নিতান্তই কম, এমনকি সংখ্যাটি বাংলা উইকিপিডিয়ার তুলনায়ও নগণ্য। অথচ ডিজিটাল বইয়ের এই যুগে বাংলা উইকিবই যথেষ্ট গুরত্বের দাবি রাখে। এজন্য আমাদের আরও স্বেচ্ছাসেবক প্রয়োজন। আশা করি আপনি এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবেন ও উইকিবইকে সমৃদ্ধ করবেন। বিস্তারিত [[উইকিবই:উইকিবই লিখন প্রতিযোগিতা ২০২৫|প্রকল্প পাতায়]] দেখুন।
'''শীর্ষ অবদানকারীদের জন্য পুরষ্কার'''
* ১ম স্থান অধিকারকারী ― ৬০০০ টাকার গিফট ভাউচার ও মুদ্রিত সনদপত্র
* ২য় স্থান অধিকারকারী ― ৪০০০ টাকার গিফট ভাউচার ও মুদ্রিত সনদপত্র
* ৩য় স্থান অধিকারকারী ― ৩০০০ টাকার গিফট ভাউচার ও মুদ্রিত সনদপত্র
* ৪র্থ স্থান অধিকারকারী ― ২৫০০ টাকার গিফট ভাউচার ও মুদ্রিত সনদপত্র
* ৫ম স্থান অধিকারকারী ― ২০০০ টাকার গিফট ভাউচার ও মুদ্রিত সনদপত্র
* ৬ষ্ঠ থেকে ১০তম স্থান অধিকারকারী (৫ জন) ― ৫০০ টাকার গিফট ভাউচার ও মুদ্রিত সনদপত্র
* কমপক্ষে একটি পাতা গৃহীত হলে ― ডিজিটাল সনদপত্র
প্রতিযোগিতায় আপনাকে স্বাগত।<br />
শুভেচ্ছান্তে, <br /> —[[ব্যবহারকারী:MdsShakil|শাকিল]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:MdsShakil|আলাপ]]) ০৬:৪৪, ১১ মে ২০২৫ (ইউটিসি)
|}
<!-- https://bn.wikibooks.org/w/index.php?title=%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%AC%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%80:MdsShakil/%E0%A6%97%E0%A6%A3%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BE&oldid=74028-এর তালিকা ব্যবহার করে বার্তাটি ব্যবহারকারী:MdsShakil@bnwikibooks পাঠিয়েছেন -->
== পুনঃপর্যালোচনার আবেদন ==
আসসালামুয়ালাইকুম রিফাত ভাই, [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/স্বাদতন্ত্র]] পাতাটি পুনরায় পর্যালোচনা করার জন্য বিনীতভাবে আহ্বান জানাচ্ছি। [[ব্যবহারকারী:Md Mobashir Hossain|Md Mobashir Hossain]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:Md Mobashir Hossain|আলাপ]]) ০৫:৩১, ১৪ মে ২০২৫ (ইউটিসি)
:রিফাত ভাই, আপনার বক্তব্য অনুযায়ী [[রন্ধনপ্রণালী:বিফ ভুনা]] ঠিক করেছি। [[ব্যবহারকারী:Md Mobashir Hossain|Md Mobashir Hossain]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:Md Mobashir Hossain|আলাপ]]) ০৫:৪৩, ১৪ মে ২০২৫ (ইউটিসি)
:@[[ব্যবহারকারী:Md Mobashir Hossain|Md Mobashir Hossain]] [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/স্বাদতন্ত্র]] নিবন্ধটি গৃহীত হয়নি।
:কারণ: অসম্পূর্ণ অনুবাদ
:এবং পর্যালোচনার নীতিমালা অনুসারে সংশোধনের আর সুযোগ দেয়া হবে না। [[ব্যবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:R1F4T|আলাপ]]) ০৭:০২, ১৪ মে ২০২৫ (ইউটিসি)
::@[[ব্যবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] {{আপনাকে ধন্যবাদ}} [[ব্যবহারকারী:Md Mobashir Hossain|Md Mobashir Hossain]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:Md Mobashir Hossain|আলাপ]]) ০৭:০৩, ১৪ মে ২০২৫ (ইউটিসি)
:::@[[ব্যবহারকারী:Md Mobashir Hossain|Md Mobashir Hossain]]
:::এছাড়াও আপনাকে নিবন্ধটি ai দিয়ে অনুবাদ এবং প্রয়োজনীয় সংশোধনী না করায় সতর্ক করা হলো। [[ব্যবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:R1F4T|আলাপ]]) ০৭:২১, ১৪ মে ২০২৫ (ইউটিসি)
::::@[[ব্যবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] [[অতীন্দ্রিয়বাদ/প্রার্থনা]] পাতাটি পুনরায় দেখুন! [[ব্যবহারকারী:Md Mobashir Hossain|Md Mobashir Hossain]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:Md Mobashir Hossain|আলাপ]]) ১০:৫৯, ৪ জুন ২০২৫ (ইউটিসি)
:::::@[[ব্যবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] [[ব্যবহারকারী:Md Mobashir Hossain|Md Mobashir Hossain]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:Md Mobashir Hossain|আলাপ]]) ০৭:৪৮, ৮ জুলাই ২০২৫ (ইউটিসি)
:সুপ্রিয় উইকিমিডিয়ান, আপনাকে ঈদ মোবারক! দয়া করে এই পাতাটি পুনরায় দেখুন - [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/বিদ্যুৎ]] [[ব্যবহারকারী:Md Mobashir Hossain|Md Mobashir Hossain]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:Md Mobashir Hossain|আলাপ]]) ০৯:২৭, ৭ জুন ২০২৫ (ইউটিসি)
::[[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/শক্তি]] দেখুন [[ব্যবহারকারী:Md Mobashir Hossain|Md Mobashir Hossain]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:Md Mobashir Hossain|আলাপ]]) ০৯:২৯, ৭ জুন ২০২৫ (ইউটিসি)
== মার্ক যোগ হচ্ছে না কেন? ==
২ টি আর্টিকেল লেখা হয়েছে কিন্তু এখনো কোনো মার্কস যোগ হয়নি [[ব্যবহারকারী:Azizul Islam Abir|Azizul Islam Abir]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:Azizul Islam Abir|আলাপ]]) ১৩:৪৪, ১৮ মে ২০২৫ (ইউটিসি)
:@[[ব্যবহারকারী:Azizul Islam Abir|Azizul Islam Abir]] যেহুতু পর্যালোচকগণ স্বেচ্ছাসেবক তাই তারা তাদের ফাঁকা সময় পর্যালোচনা করেন তাই একটু দেরি হতে পারে তবে ফল প্রকাশের পূর্বেই সব নিবন্ধ পর্যালোচনা করা হবে [[ব্যবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:R1F4T|আলাপ]]) ১৩:৪৭, ১৮ মে ২০২৫ (ইউটিসি)
::ভাইয়া উইকিবই লিখন প্রতিযোগিতা 2025 এর অনলাইন সনদ টি এখন ও পেলাম না মেইল চেক দিয়েছি স্প্যাম চেক দিয়েছি এখন ও পাইনি [[ব্যবহারকারী:Azizul Islam Abir|Azizul Islam Abir]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:Azizul Islam Abir|আলাপ]]) ১৪:৪৪, ২ জুলাই ২০২৫ (ইউটিসি)
== [[রন্ধনপ্রণালী:চালতার টক]] ==
পরামর্শ অংশটি সহজ ভাষায় লেখা হয়েছে। পুনরায় যাচাই করুন [[ব্যবহারকারী:MD Abu Siyam|MD Abu Siyam]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:MD Abu Siyam|আলাপ]]) ১৫:২০, ৫ জুন ২০২৫ (ইউটিসি)
== [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/নাথিং ডেটা টাইপ]] ==
সহজ ভাষায় লেখা হয়েছে, পুনরায় দেখুন [[ব্যবহারকারী:MD Abu Siyam|MD Abu Siyam]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:MD Abu Siyam|আলাপ]]) ১৫:২৬, ৫ জুন ২০২৫ (ইউটিসি)
== [[রন্ধনপ্রণালী:নুনগড়া পিঠা]] ==
পুনরায় দেখুন [[ব্যবহারকারী:MD Abu Siyam|MD Abu Siyam]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:MD Abu Siyam|আলাপ]]) ১১:১৯, ৮ জুন ২০২৫ (ইউটিসি)
== [[রন্ধনপ্রণালী:চুষি পিঠা]] ==
পুনরায় দেখবেন [[ব্যবহারকারী:MD Abu Siyam|MD Abu Siyam]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:MD Abu Siyam|আলাপ]]) ১১:২২, ৮ জুন ২০২৫ (ইউটিসি)
== পুনরায় যাচাই করবেন ==
উক্ত নিবন্ধ গুলোর স্বাস্থ্য বিষয়ক অংশ, যান্ত্রিকতা দূর করে প্রয়োজনীয় সম্পাদনা করা হয়েছে। পুনরায় যাচাই করবেন —
# [[রন্ধনপ্রণালী:ফিস পাকোড়া]]
# [[রন্ধনপ্রণালী:বোরহানি]]
# [[রন্ধনপ্রণালী:সাম্বর]]
# [[রন্ধনপ্রণালী:চিকেন হারিয়ালি কাবাব]]
# [[রন্ধনপ্রণালী:চিকেন রেশমি কাবাব]]
# [[রন্ধনপ্রণালী:বাঁশকোরার ভর্তা]]
[[ব্যবহারকারী:MD Abu Siyam|MD Abu Siyam]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:MD Abu Siyam|আলাপ]]) ০৩:১৫, ১৬ জুন ২০২৫ (ইউটিসি)
== [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/জৈবচিকিৎসীয় আলট্রাসাউন্ড]] ==
বাংলা পরিভাষা যোগ করা হয়েছে। পুনরায় পর্যালোচনার জন্য অনুরোধ করছি। [[ব্যবহারকারী:Asikur.rahman25|Asikur.rahman25]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:Asikur.rahman25|আলাপ]]) ০৬:২৬, ১৯ জুন ২০২৫ (ইউটিসি)
6pvjaj9ihflj8y1bmfi0n3xl1k8qlvn
85824
85823
2025-07-08T07:48:33Z
Md Mobashir Hossain
10853
/* পুনঃপর্যালোচনার আবেদন */ উত্তর
85824
wikitext
text/x-wiki
== বাংলা উইকিবইয়ে স্বাগত ==
{{স্বাগত/২য় সংস্করণ}} ১৮:৪০, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ (ইউটিসি)
== সম্পাদনা দ্বন্দ্ব ==
প্রিয় R1F4T,
বই সম্পাদনা কালে আমি আপনার সম্পাদনা করতে চাওয়া ([[:en:Famous Theorems of Mathematics/Pythagorean trigonometric identity|Famous Theorems of Mathematics/Pythagorean trigonometric identity]]) পাতাটি বইয়ের ভিতরে গিয়ে তৈরি না অবস্থায় পাওয়ার পর [[গণিতের বিখ্যাত উপপাদ্য/পিথাগোরাসের ত্রিকোণোমিতির অভেদক|তৈরি করে ফেলেছি]]। কিন্তু আপনি সম্পাদান করতে চেয়েছেন এটা আগে খেয়াল করতে পারিনি। এজন্য দুঃখ প্রকাশ করছি।
[[ব্যবহারকারী:Ashiqur Rahman|Ashiqur Rahman]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:Ashiqur Rahman|আলাপ]]) ১৪:১৯, ৪ জুন ২০২৪ (ইউটিসি)
:সমস্যা নেই। আপনি করুন অনুবাদ [[ব্যবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:R1F4T|আলাপ]]) ১৪:২৯, ৪ জুন ২০২৪ (ইউটিসি)
== [[উইকিবই:উইকিবই লিখন প্রতিযোগিতা ২০২৫|উইকিবই লিখন প্রতিযোগিতা ২০২৫: অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ]] ==
{| style="background-color: #f8f9fa; border: 1px solid #ced4da; padding:10px; color: #212529;"
|-
|[[File:Bangla Wikibooks Writing contest 2025 Banner (2).png|frameless|center|300px|link=[[উইকিবই:উইকিবই লিখন প্রতিযোগিতা ২০২৫]]]]<br/>
সুপ্রিয় R1F4T,
আশা করি এই গ্রীষ্মের এই রৌদ্রোজ্জ্বল তপ্ত আবহাওয়াতেও ভালো আছেন। আপনার জ্ঞাতার্থে জানাচ্ছি যে, গত ৭ মে থেকে বাংলা উইকিবইয়ে '''[[উইকিবই:উইকিবই লিখন প্রতিযোগিতা ২০২৫|উইকিবই লিখন প্রতিযোগিতা ২০২৫]]''' শীর্ষক একটি বই লিখন ও অনুবাদ প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। আপনাকে এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। প্রতিযোগিতাটি অভিজ্ঞ, অনভিজ্ঞ ও নতুন ব্যবহারকারী সকলের জন্যই মুক্ত।
অন্যান্য ভাষার উইকিবইয়ের চাইতে বাংলা উইকিবইয়ে অবদানকারীর সংখ্যা নিতান্তই কম, এমনকি সংখ্যাটি বাংলা উইকিপিডিয়ার তুলনায়ও নগণ্য। অথচ ডিজিটাল বইয়ের এই যুগে বাংলা উইকিবই যথেষ্ট গুরত্বের দাবি রাখে। এজন্য আমাদের আরও স্বেচ্ছাসেবক প্রয়োজন। আশা করি আপনি এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবেন ও উইকিবইকে সমৃদ্ধ করবেন। বিস্তারিত [[উইকিবই:উইকিবই লিখন প্রতিযোগিতা ২০২৫|প্রকল্প পাতায়]] দেখুন।
'''শীর্ষ অবদানকারীদের জন্য পুরষ্কার'''
* ১ম স্থান অধিকারকারী ― ৬০০০ টাকার গিফট ভাউচার ও মুদ্রিত সনদপত্র
* ২য় স্থান অধিকারকারী ― ৪০০০ টাকার গিফট ভাউচার ও মুদ্রিত সনদপত্র
* ৩য় স্থান অধিকারকারী ― ৩০০০ টাকার গিফট ভাউচার ও মুদ্রিত সনদপত্র
* ৪র্থ স্থান অধিকারকারী ― ২৫০০ টাকার গিফট ভাউচার ও মুদ্রিত সনদপত্র
* ৫ম স্থান অধিকারকারী ― ২০০০ টাকার গিফট ভাউচার ও মুদ্রিত সনদপত্র
* ৬ষ্ঠ থেকে ১০তম স্থান অধিকারকারী (৫ জন) ― ৫০০ টাকার গিফট ভাউচার ও মুদ্রিত সনদপত্র
* কমপক্ষে একটি পাতা গৃহীত হলে ― ডিজিটাল সনদপত্র
প্রতিযোগিতায় আপনাকে স্বাগত।<br />
শুভেচ্ছান্তে, <br /> —[[ব্যবহারকারী:MdsShakil|শাকিল]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:MdsShakil|আলাপ]]) ০৬:৪৪, ১১ মে ২০২৫ (ইউটিসি)
|}
<!-- https://bn.wikibooks.org/w/index.php?title=%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%AC%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%80:MdsShakil/%E0%A6%97%E0%A6%A3%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BE&oldid=74028-এর তালিকা ব্যবহার করে বার্তাটি ব্যবহারকারী:MdsShakil@bnwikibooks পাঠিয়েছেন -->
== পুনঃপর্যালোচনার আবেদন ==
আসসালামুয়ালাইকুম রিফাত ভাই, [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/স্বাদতন্ত্র]] পাতাটি পুনরায় পর্যালোচনা করার জন্য বিনীতভাবে আহ্বান জানাচ্ছি। [[ব্যবহারকারী:Md Mobashir Hossain|Md Mobashir Hossain]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:Md Mobashir Hossain|আলাপ]]) ০৫:৩১, ১৪ মে ২০২৫ (ইউটিসি)
:রিফাত ভাই, আপনার বক্তব্য অনুযায়ী [[রন্ধনপ্রণালী:বিফ ভুনা]] ঠিক করেছি। [[ব্যবহারকারী:Md Mobashir Hossain|Md Mobashir Hossain]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:Md Mobashir Hossain|আলাপ]]) ০৫:৪৩, ১৪ মে ২০২৫ (ইউটিসি)
:@[[ব্যবহারকারী:Md Mobashir Hossain|Md Mobashir Hossain]] [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/স্বাদতন্ত্র]] নিবন্ধটি গৃহীত হয়নি।
:কারণ: অসম্পূর্ণ অনুবাদ
:এবং পর্যালোচনার নীতিমালা অনুসারে সংশোধনের আর সুযোগ দেয়া হবে না। [[ব্যবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:R1F4T|আলাপ]]) ০৭:০২, ১৪ মে ২০২৫ (ইউটিসি)
::@[[ব্যবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] {{আপনাকে ধন্যবাদ}} [[ব্যবহারকারী:Md Mobashir Hossain|Md Mobashir Hossain]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:Md Mobashir Hossain|আলাপ]]) ০৭:০৩, ১৪ মে ২০২৫ (ইউটিসি)
:::@[[ব্যবহারকারী:Md Mobashir Hossain|Md Mobashir Hossain]]
:::এছাড়াও আপনাকে নিবন্ধটি ai দিয়ে অনুবাদ এবং প্রয়োজনীয় সংশোধনী না করায় সতর্ক করা হলো। [[ব্যবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:R1F4T|আলাপ]]) ০৭:২১, ১৪ মে ২০২৫ (ইউটিসি)
::::@[[ব্যবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] [[অতীন্দ্রিয়বাদ/প্রার্থনা]] পাতাটি পুনরায় দেখুন! [[ব্যবহারকারী:Md Mobashir Hossain|Md Mobashir Hossain]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:Md Mobashir Hossain|আলাপ]]) ১০:৫৯, ৪ জুন ২০২৫ (ইউটিসি)
:::::@[[ব্যবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] [[ব্যবহারকারী:Md Mobashir Hossain|Md Mobashir Hossain]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:Md Mobashir Hossain|আলাপ]]) ০৭:৪৮, ৮ জুলাই ২০২৫ (ইউটিসি)
:সুপ্রিয় উইকিমিডিয়ান, আপনাকে ঈদ মোবারক! দয়া করে এই পাতাটি পুনরায় দেখুন - [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/বিদ্যুৎ]] [[ব্যবহারকারী:Md Mobashir Hossain|Md Mobashir Hossain]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:Md Mobashir Hossain|আলাপ]]) ০৯:২৭, ৭ জুন ২০২৫ (ইউটিসি)
::[[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/শক্তি]] দেখুন [[ব্যবহারকারী:Md Mobashir Hossain|Md Mobashir Hossain]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:Md Mobashir Hossain|আলাপ]]) ০৯:২৯, ৭ জুন ২০২৫ (ইউটিসি)
::@[[ব্যবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] [[ব্যবহারকারী:Md Mobashir Hossain|Md Mobashir Hossain]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:Md Mobashir Hossain|আলাপ]]) ০৭:৪৮, ৮ জুলাই ২০২৫ (ইউটিসি)
== মার্ক যোগ হচ্ছে না কেন? ==
২ টি আর্টিকেল লেখা হয়েছে কিন্তু এখনো কোনো মার্কস যোগ হয়নি [[ব্যবহারকারী:Azizul Islam Abir|Azizul Islam Abir]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:Azizul Islam Abir|আলাপ]]) ১৩:৪৪, ১৮ মে ২০২৫ (ইউটিসি)
:@[[ব্যবহারকারী:Azizul Islam Abir|Azizul Islam Abir]] যেহুতু পর্যালোচকগণ স্বেচ্ছাসেবক তাই তারা তাদের ফাঁকা সময় পর্যালোচনা করেন তাই একটু দেরি হতে পারে তবে ফল প্রকাশের পূর্বেই সব নিবন্ধ পর্যালোচনা করা হবে [[ব্যবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:R1F4T|আলাপ]]) ১৩:৪৭, ১৮ মে ২০২৫ (ইউটিসি)
::ভাইয়া উইকিবই লিখন প্রতিযোগিতা 2025 এর অনলাইন সনদ টি এখন ও পেলাম না মেইল চেক দিয়েছি স্প্যাম চেক দিয়েছি এখন ও পাইনি [[ব্যবহারকারী:Azizul Islam Abir|Azizul Islam Abir]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:Azizul Islam Abir|আলাপ]]) ১৪:৪৪, ২ জুলাই ২০২৫ (ইউটিসি)
== [[রন্ধনপ্রণালী:চালতার টক]] ==
পরামর্শ অংশটি সহজ ভাষায় লেখা হয়েছে। পুনরায় যাচাই করুন [[ব্যবহারকারী:MD Abu Siyam|MD Abu Siyam]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:MD Abu Siyam|আলাপ]]) ১৫:২০, ৫ জুন ২০২৫ (ইউটিসি)
== [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/নাথিং ডেটা টাইপ]] ==
সহজ ভাষায় লেখা হয়েছে, পুনরায় দেখুন [[ব্যবহারকারী:MD Abu Siyam|MD Abu Siyam]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:MD Abu Siyam|আলাপ]]) ১৫:২৬, ৫ জুন ২০২৫ (ইউটিসি)
== [[রন্ধনপ্রণালী:নুনগড়া পিঠা]] ==
পুনরায় দেখুন [[ব্যবহারকারী:MD Abu Siyam|MD Abu Siyam]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:MD Abu Siyam|আলাপ]]) ১১:১৯, ৮ জুন ২০২৫ (ইউটিসি)
== [[রন্ধনপ্রণালী:চুষি পিঠা]] ==
পুনরায় দেখবেন [[ব্যবহারকারী:MD Abu Siyam|MD Abu Siyam]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:MD Abu Siyam|আলাপ]]) ১১:২২, ৮ জুন ২০২৫ (ইউটিসি)
== পুনরায় যাচাই করবেন ==
উক্ত নিবন্ধ গুলোর স্বাস্থ্য বিষয়ক অংশ, যান্ত্রিকতা দূর করে প্রয়োজনীয় সম্পাদনা করা হয়েছে। পুনরায় যাচাই করবেন —
# [[রন্ধনপ্রণালী:ফিস পাকোড়া]]
# [[রন্ধনপ্রণালী:বোরহানি]]
# [[রন্ধনপ্রণালী:সাম্বর]]
# [[রন্ধনপ্রণালী:চিকেন হারিয়ালি কাবাব]]
# [[রন্ধনপ্রণালী:চিকেন রেশমি কাবাব]]
# [[রন্ধনপ্রণালী:বাঁশকোরার ভর্তা]]
[[ব্যবহারকারী:MD Abu Siyam|MD Abu Siyam]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:MD Abu Siyam|আলাপ]]) ০৩:১৫, ১৬ জুন ২০২৫ (ইউটিসি)
== [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/জৈবচিকিৎসীয় আলট্রাসাউন্ড]] ==
বাংলা পরিভাষা যোগ করা হয়েছে। পুনরায় পর্যালোচনার জন্য অনুরোধ করছি। [[ব্যবহারকারী:Asikur.rahman25|Asikur.rahman25]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:Asikur.rahman25|আলাপ]]) ০৬:২৬, ১৯ জুন ২০২৫ (ইউটিসি)
40qit60hvwt3kkakq5q9jkrrbqsqcvm
85825
85824
2025-07-08T08:48:59Z
R1F4T
9121
/* পুনঃপর্যালোচনার আবেদন */ উত্তর
85825
wikitext
text/x-wiki
== বাংলা উইকিবইয়ে স্বাগত ==
{{স্বাগত/২য় সংস্করণ}} ১৮:৪০, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ (ইউটিসি)
== সম্পাদনা দ্বন্দ্ব ==
প্রিয় R1F4T,
বই সম্পাদনা কালে আমি আপনার সম্পাদনা করতে চাওয়া ([[:en:Famous Theorems of Mathematics/Pythagorean trigonometric identity|Famous Theorems of Mathematics/Pythagorean trigonometric identity]]) পাতাটি বইয়ের ভিতরে গিয়ে তৈরি না অবস্থায় পাওয়ার পর [[গণিতের বিখ্যাত উপপাদ্য/পিথাগোরাসের ত্রিকোণোমিতির অভেদক|তৈরি করে ফেলেছি]]। কিন্তু আপনি সম্পাদান করতে চেয়েছেন এটা আগে খেয়াল করতে পারিনি। এজন্য দুঃখ প্রকাশ করছি।
[[ব্যবহারকারী:Ashiqur Rahman|Ashiqur Rahman]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:Ashiqur Rahman|আলাপ]]) ১৪:১৯, ৪ জুন ২০২৪ (ইউটিসি)
:সমস্যা নেই। আপনি করুন অনুবাদ [[ব্যবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:R1F4T|আলাপ]]) ১৪:২৯, ৪ জুন ২০২৪ (ইউটিসি)
== [[উইকিবই:উইকিবই লিখন প্রতিযোগিতা ২০২৫|উইকিবই লিখন প্রতিযোগিতা ২০২৫: অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ]] ==
{| style="background-color: #f8f9fa; border: 1px solid #ced4da; padding:10px; color: #212529;"
|-
|[[File:Bangla Wikibooks Writing contest 2025 Banner (2).png|frameless|center|300px|link=[[উইকিবই:উইকিবই লিখন প্রতিযোগিতা ২০২৫]]]]<br/>
সুপ্রিয় R1F4T,
আশা করি এই গ্রীষ্মের এই রৌদ্রোজ্জ্বল তপ্ত আবহাওয়াতেও ভালো আছেন। আপনার জ্ঞাতার্থে জানাচ্ছি যে, গত ৭ মে থেকে বাংলা উইকিবইয়ে '''[[উইকিবই:উইকিবই লিখন প্রতিযোগিতা ২০২৫|উইকিবই লিখন প্রতিযোগিতা ২০২৫]]''' শীর্ষক একটি বই লিখন ও অনুবাদ প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। আপনাকে এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। প্রতিযোগিতাটি অভিজ্ঞ, অনভিজ্ঞ ও নতুন ব্যবহারকারী সকলের জন্যই মুক্ত।
অন্যান্য ভাষার উইকিবইয়ের চাইতে বাংলা উইকিবইয়ে অবদানকারীর সংখ্যা নিতান্তই কম, এমনকি সংখ্যাটি বাংলা উইকিপিডিয়ার তুলনায়ও নগণ্য। অথচ ডিজিটাল বইয়ের এই যুগে বাংলা উইকিবই যথেষ্ট গুরত্বের দাবি রাখে। এজন্য আমাদের আরও স্বেচ্ছাসেবক প্রয়োজন। আশা করি আপনি এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবেন ও উইকিবইকে সমৃদ্ধ করবেন। বিস্তারিত [[উইকিবই:উইকিবই লিখন প্রতিযোগিতা ২০২৫|প্রকল্প পাতায়]] দেখুন।
'''শীর্ষ অবদানকারীদের জন্য পুরষ্কার'''
* ১ম স্থান অধিকারকারী ― ৬০০০ টাকার গিফট ভাউচার ও মুদ্রিত সনদপত্র
* ২য় স্থান অধিকারকারী ― ৪০০০ টাকার গিফট ভাউচার ও মুদ্রিত সনদপত্র
* ৩য় স্থান অধিকারকারী ― ৩০০০ টাকার গিফট ভাউচার ও মুদ্রিত সনদপত্র
* ৪র্থ স্থান অধিকারকারী ― ২৫০০ টাকার গিফট ভাউচার ও মুদ্রিত সনদপত্র
* ৫ম স্থান অধিকারকারী ― ২০০০ টাকার গিফট ভাউচার ও মুদ্রিত সনদপত্র
* ৬ষ্ঠ থেকে ১০তম স্থান অধিকারকারী (৫ জন) ― ৫০০ টাকার গিফট ভাউচার ও মুদ্রিত সনদপত্র
* কমপক্ষে একটি পাতা গৃহীত হলে ― ডিজিটাল সনদপত্র
প্রতিযোগিতায় আপনাকে স্বাগত।<br />
শুভেচ্ছান্তে, <br /> —[[ব্যবহারকারী:MdsShakil|শাকিল]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:MdsShakil|আলাপ]]) ০৬:৪৪, ১১ মে ২০২৫ (ইউটিসি)
|}
<!-- https://bn.wikibooks.org/w/index.php?title=%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%AC%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%80:MdsShakil/%E0%A6%97%E0%A6%A3%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BE&oldid=74028-এর তালিকা ব্যবহার করে বার্তাটি ব্যবহারকারী:MdsShakil@bnwikibooks পাঠিয়েছেন -->
== পুনঃপর্যালোচনার আবেদন ==
আসসালামুয়ালাইকুম রিফাত ভাই, [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/স্বাদতন্ত্র]] পাতাটি পুনরায় পর্যালোচনা করার জন্য বিনীতভাবে আহ্বান জানাচ্ছি। [[ব্যবহারকারী:Md Mobashir Hossain|Md Mobashir Hossain]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:Md Mobashir Hossain|আলাপ]]) ০৫:৩১, ১৪ মে ২০২৫ (ইউটিসি)
:রিফাত ভাই, আপনার বক্তব্য অনুযায়ী [[রন্ধনপ্রণালী:বিফ ভুনা]] ঠিক করেছি। [[ব্যবহারকারী:Md Mobashir Hossain|Md Mobashir Hossain]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:Md Mobashir Hossain|আলাপ]]) ০৫:৪৩, ১৪ মে ২০২৫ (ইউটিসি)
:@[[ব্যবহারকারী:Md Mobashir Hossain|Md Mobashir Hossain]] [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/স্বাদতন্ত্র]] নিবন্ধটি গৃহীত হয়নি।
:কারণ: অসম্পূর্ণ অনুবাদ
:এবং পর্যালোচনার নীতিমালা অনুসারে সংশোধনের আর সুযোগ দেয়া হবে না। [[ব্যবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:R1F4T|আলাপ]]) ০৭:০২, ১৪ মে ২০২৫ (ইউটিসি)
::@[[ব্যবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] {{আপনাকে ধন্যবাদ}} [[ব্যবহারকারী:Md Mobashir Hossain|Md Mobashir Hossain]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:Md Mobashir Hossain|আলাপ]]) ০৭:০৩, ১৪ মে ২০২৫ (ইউটিসি)
:::@[[ব্যবহারকারী:Md Mobashir Hossain|Md Mobashir Hossain]]
:::এছাড়াও আপনাকে নিবন্ধটি ai দিয়ে অনুবাদ এবং প্রয়োজনীয় সংশোধনী না করায় সতর্ক করা হলো। [[ব্যবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:R1F4T|আলাপ]]) ০৭:২১, ১৪ মে ২০২৫ (ইউটিসি)
::::@[[ব্যবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] [[অতীন্দ্রিয়বাদ/প্রার্থনা]] পাতাটি পুনরায় দেখুন! [[ব্যবহারকারী:Md Mobashir Hossain|Md Mobashir Hossain]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:Md Mobashir Hossain|আলাপ]]) ১০:৫৯, ৪ জুন ২০২৫ (ইউটিসি)
:::::@[[ব্যবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] [[ব্যবহারকারী:Md Mobashir Hossain|Md Mobashir Hossain]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:Md Mobashir Hossain|আলাপ]]) ০৭:৪৮, ৮ জুলাই ২০২৫ (ইউটিসি)
:সুপ্রিয় উইকিমিডিয়ান, আপনাকে ঈদ মোবারক! দয়া করে এই পাতাটি পুনরায় দেখুন - [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/বিদ্যুৎ]] [[ব্যবহারকারী:Md Mobashir Hossain|Md Mobashir Hossain]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:Md Mobashir Hossain|আলাপ]]) ০৯:২৭, ৭ জুন ২০২৫ (ইউটিসি)
::[[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/শক্তি]] দেখুন [[ব্যবহারকারী:Md Mobashir Hossain|Md Mobashir Hossain]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:Md Mobashir Hossain|আলাপ]]) ০৯:২৯, ৭ জুন ২০২৫ (ইউটিসি)
::@[[ব্যবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] [[ব্যবহারকারী:Md Mobashir Hossain|Md Mobashir Hossain]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:Md Mobashir Hossain|আলাপ]]) ০৭:৪৮, ৮ জুলাই ২০২৫ (ইউটিসি)
:::@[[ব্যবহারকারী:Md Mobashir Hossain|Md Mobashir Hossain]] অনুবাদ এখনো যান্ত্রিক তাই গ্রহন করা হয়নি [[ব্যবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:R1F4T|আলাপ]]) ০৮:৪৮, ৮ জুলাই ২০২৫ (ইউটিসি)
== মার্ক যোগ হচ্ছে না কেন? ==
২ টি আর্টিকেল লেখা হয়েছে কিন্তু এখনো কোনো মার্কস যোগ হয়নি [[ব্যবহারকারী:Azizul Islam Abir|Azizul Islam Abir]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:Azizul Islam Abir|আলাপ]]) ১৩:৪৪, ১৮ মে ২০২৫ (ইউটিসি)
:@[[ব্যবহারকারী:Azizul Islam Abir|Azizul Islam Abir]] যেহুতু পর্যালোচকগণ স্বেচ্ছাসেবক তাই তারা তাদের ফাঁকা সময় পর্যালোচনা করেন তাই একটু দেরি হতে পারে তবে ফল প্রকাশের পূর্বেই সব নিবন্ধ পর্যালোচনা করা হবে [[ব্যবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:R1F4T|আলাপ]]) ১৩:৪৭, ১৮ মে ২০২৫ (ইউটিসি)
::ভাইয়া উইকিবই লিখন প্রতিযোগিতা 2025 এর অনলাইন সনদ টি এখন ও পেলাম না মেইল চেক দিয়েছি স্প্যাম চেক দিয়েছি এখন ও পাইনি [[ব্যবহারকারী:Azizul Islam Abir|Azizul Islam Abir]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:Azizul Islam Abir|আলাপ]]) ১৪:৪৪, ২ জুলাই ২০২৫ (ইউটিসি)
== [[রন্ধনপ্রণালী:চালতার টক]] ==
পরামর্শ অংশটি সহজ ভাষায় লেখা হয়েছে। পুনরায় যাচাই করুন [[ব্যবহারকারী:MD Abu Siyam|MD Abu Siyam]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:MD Abu Siyam|আলাপ]]) ১৫:২০, ৫ জুন ২০২৫ (ইউটিসি)
== [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/নাথিং ডেটা টাইপ]] ==
সহজ ভাষায় লেখা হয়েছে, পুনরায় দেখুন [[ব্যবহারকারী:MD Abu Siyam|MD Abu Siyam]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:MD Abu Siyam|আলাপ]]) ১৫:২৬, ৫ জুন ২০২৫ (ইউটিসি)
== [[রন্ধনপ্রণালী:নুনগড়া পিঠা]] ==
পুনরায় দেখুন [[ব্যবহারকারী:MD Abu Siyam|MD Abu Siyam]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:MD Abu Siyam|আলাপ]]) ১১:১৯, ৮ জুন ২০২৫ (ইউটিসি)
== [[রন্ধনপ্রণালী:চুষি পিঠা]] ==
পুনরায় দেখবেন [[ব্যবহারকারী:MD Abu Siyam|MD Abu Siyam]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:MD Abu Siyam|আলাপ]]) ১১:২২, ৮ জুন ২০২৫ (ইউটিসি)
== পুনরায় যাচাই করবেন ==
উক্ত নিবন্ধ গুলোর স্বাস্থ্য বিষয়ক অংশ, যান্ত্রিকতা দূর করে প্রয়োজনীয় সম্পাদনা করা হয়েছে। পুনরায় যাচাই করবেন —
# [[রন্ধনপ্রণালী:ফিস পাকোড়া]]
# [[রন্ধনপ্রণালী:বোরহানি]]
# [[রন্ধনপ্রণালী:সাম্বর]]
# [[রন্ধনপ্রণালী:চিকেন হারিয়ালি কাবাব]]
# [[রন্ধনপ্রণালী:চিকেন রেশমি কাবাব]]
# [[রন্ধনপ্রণালী:বাঁশকোরার ভর্তা]]
[[ব্যবহারকারী:MD Abu Siyam|MD Abu Siyam]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:MD Abu Siyam|আলাপ]]) ০৩:১৫, ১৬ জুন ২০২৫ (ইউটিসি)
== [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/জৈবচিকিৎসীয় আলট্রাসাউন্ড]] ==
বাংলা পরিভাষা যোগ করা হয়েছে। পুনরায় পর্যালোচনার জন্য অনুরোধ করছি। [[ব্যবহারকারী:Asikur.rahman25|Asikur.rahman25]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:Asikur.rahman25|আলাপ]]) ০৬:২৬, ১৯ জুন ২০২৫ (ইউটিসি)
fhmrj9sdcw6q3ygqk5w2suri72pdkaw
85835
85825
2025-07-08T09:25:42Z
Md Mobashir Hossain
10853
/* পুনঃপর্যালোচনার আবেদন */ উত্তর
85835
wikitext
text/x-wiki
== বাংলা উইকিবইয়ে স্বাগত ==
{{স্বাগত/২য় সংস্করণ}} ১৮:৪০, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ (ইউটিসি)
== সম্পাদনা দ্বন্দ্ব ==
প্রিয় R1F4T,
বই সম্পাদনা কালে আমি আপনার সম্পাদনা করতে চাওয়া ([[:en:Famous Theorems of Mathematics/Pythagorean trigonometric identity|Famous Theorems of Mathematics/Pythagorean trigonometric identity]]) পাতাটি বইয়ের ভিতরে গিয়ে তৈরি না অবস্থায় পাওয়ার পর [[গণিতের বিখ্যাত উপপাদ্য/পিথাগোরাসের ত্রিকোণোমিতির অভেদক|তৈরি করে ফেলেছি]]। কিন্তু আপনি সম্পাদান করতে চেয়েছেন এটা আগে খেয়াল করতে পারিনি। এজন্য দুঃখ প্রকাশ করছি।
[[ব্যবহারকারী:Ashiqur Rahman|Ashiqur Rahman]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:Ashiqur Rahman|আলাপ]]) ১৪:১৯, ৪ জুন ২০২৪ (ইউটিসি)
:সমস্যা নেই। আপনি করুন অনুবাদ [[ব্যবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:R1F4T|আলাপ]]) ১৪:২৯, ৪ জুন ২০২৪ (ইউটিসি)
== [[উইকিবই:উইকিবই লিখন প্রতিযোগিতা ২০২৫|উইকিবই লিখন প্রতিযোগিতা ২০২৫: অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ]] ==
{| style="background-color: #f8f9fa; border: 1px solid #ced4da; padding:10px; color: #212529;"
|-
|[[File:Bangla Wikibooks Writing contest 2025 Banner (2).png|frameless|center|300px|link=[[উইকিবই:উইকিবই লিখন প্রতিযোগিতা ২০২৫]]]]<br/>
সুপ্রিয় R1F4T,
আশা করি এই গ্রীষ্মের এই রৌদ্রোজ্জ্বল তপ্ত আবহাওয়াতেও ভালো আছেন। আপনার জ্ঞাতার্থে জানাচ্ছি যে, গত ৭ মে থেকে বাংলা উইকিবইয়ে '''[[উইকিবই:উইকিবই লিখন প্রতিযোগিতা ২০২৫|উইকিবই লিখন প্রতিযোগিতা ২০২৫]]''' শীর্ষক একটি বই লিখন ও অনুবাদ প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। আপনাকে এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। প্রতিযোগিতাটি অভিজ্ঞ, অনভিজ্ঞ ও নতুন ব্যবহারকারী সকলের জন্যই মুক্ত।
অন্যান্য ভাষার উইকিবইয়ের চাইতে বাংলা উইকিবইয়ে অবদানকারীর সংখ্যা নিতান্তই কম, এমনকি সংখ্যাটি বাংলা উইকিপিডিয়ার তুলনায়ও নগণ্য। অথচ ডিজিটাল বইয়ের এই যুগে বাংলা উইকিবই যথেষ্ট গুরত্বের দাবি রাখে। এজন্য আমাদের আরও স্বেচ্ছাসেবক প্রয়োজন। আশা করি আপনি এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবেন ও উইকিবইকে সমৃদ্ধ করবেন। বিস্তারিত [[উইকিবই:উইকিবই লিখন প্রতিযোগিতা ২০২৫|প্রকল্প পাতায়]] দেখুন।
'''শীর্ষ অবদানকারীদের জন্য পুরষ্কার'''
* ১ম স্থান অধিকারকারী ― ৬০০০ টাকার গিফট ভাউচার ও মুদ্রিত সনদপত্র
* ২য় স্থান অধিকারকারী ― ৪০০০ টাকার গিফট ভাউচার ও মুদ্রিত সনদপত্র
* ৩য় স্থান অধিকারকারী ― ৩০০০ টাকার গিফট ভাউচার ও মুদ্রিত সনদপত্র
* ৪র্থ স্থান অধিকারকারী ― ২৫০০ টাকার গিফট ভাউচার ও মুদ্রিত সনদপত্র
* ৫ম স্থান অধিকারকারী ― ২০০০ টাকার গিফট ভাউচার ও মুদ্রিত সনদপত্র
* ৬ষ্ঠ থেকে ১০তম স্থান অধিকারকারী (৫ জন) ― ৫০০ টাকার গিফট ভাউচার ও মুদ্রিত সনদপত্র
* কমপক্ষে একটি পাতা গৃহীত হলে ― ডিজিটাল সনদপত্র
প্রতিযোগিতায় আপনাকে স্বাগত।<br />
শুভেচ্ছান্তে, <br /> —[[ব্যবহারকারী:MdsShakil|শাকিল]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:MdsShakil|আলাপ]]) ০৬:৪৪, ১১ মে ২০২৫ (ইউটিসি)
|}
<!-- https://bn.wikibooks.org/w/index.php?title=%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%AC%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%80:MdsShakil/%E0%A6%97%E0%A6%A3%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BE&oldid=74028-এর তালিকা ব্যবহার করে বার্তাটি ব্যবহারকারী:MdsShakil@bnwikibooks পাঠিয়েছেন -->
== পুনঃপর্যালোচনার আবেদন ==
আসসালামুয়ালাইকুম রিফাত ভাই, [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/স্বাদতন্ত্র]] পাতাটি পুনরায় পর্যালোচনা করার জন্য বিনীতভাবে আহ্বান জানাচ্ছি। [[ব্যবহারকারী:Md Mobashir Hossain|Md Mobashir Hossain]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:Md Mobashir Hossain|আলাপ]]) ০৫:৩১, ১৪ মে ২০২৫ (ইউটিসি)
:রিফাত ভাই, আপনার বক্তব্য অনুযায়ী [[রন্ধনপ্রণালী:বিফ ভুনা]] ঠিক করেছি। [[ব্যবহারকারী:Md Mobashir Hossain|Md Mobashir Hossain]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:Md Mobashir Hossain|আলাপ]]) ০৫:৪৩, ১৪ মে ২০২৫ (ইউটিসি)
:@[[ব্যবহারকারী:Md Mobashir Hossain|Md Mobashir Hossain]] [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/স্বাদতন্ত্র]] নিবন্ধটি গৃহীত হয়নি।
:কারণ: অসম্পূর্ণ অনুবাদ
:এবং পর্যালোচনার নীতিমালা অনুসারে সংশোধনের আর সুযোগ দেয়া হবে না। [[ব্যবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:R1F4T|আলাপ]]) ০৭:০২, ১৪ মে ২০২৫ (ইউটিসি)
::@[[ব্যবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] {{আপনাকে ধন্যবাদ}} [[ব্যবহারকারী:Md Mobashir Hossain|Md Mobashir Hossain]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:Md Mobashir Hossain|আলাপ]]) ০৭:০৩, ১৪ মে ২০২৫ (ইউটিসি)
:::@[[ব্যবহারকারী:Md Mobashir Hossain|Md Mobashir Hossain]]
:::এছাড়াও আপনাকে নিবন্ধটি ai দিয়ে অনুবাদ এবং প্রয়োজনীয় সংশোধনী না করায় সতর্ক করা হলো। [[ব্যবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:R1F4T|আলাপ]]) ০৭:২১, ১৪ মে ২০২৫ (ইউটিসি)
::::@[[ব্যবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] [[অতীন্দ্রিয়বাদ/প্রার্থনা]] পাতাটি পুনরায় দেখুন! [[ব্যবহারকারী:Md Mobashir Hossain|Md Mobashir Hossain]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:Md Mobashir Hossain|আলাপ]]) ১০:৫৯, ৪ জুন ২০২৫ (ইউটিসি)
:::::@[[ব্যবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] [[ব্যবহারকারী:Md Mobashir Hossain|Md Mobashir Hossain]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:Md Mobashir Hossain|আলাপ]]) ০৭:৪৮, ৮ জুলাই ২০২৫ (ইউটিসি)
:সুপ্রিয় উইকিমিডিয়ান, আপনাকে ঈদ মোবারক! দয়া করে এই পাতাটি পুনরায় দেখুন - [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/বিদ্যুৎ]] [[ব্যবহারকারী:Md Mobashir Hossain|Md Mobashir Hossain]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:Md Mobashir Hossain|আলাপ]]) ০৯:২৭, ৭ জুন ২০২৫ (ইউটিসি)
::[[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/শক্তি]] দেখুন [[ব্যবহারকারী:Md Mobashir Hossain|Md Mobashir Hossain]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:Md Mobashir Hossain|আলাপ]]) ০৯:২৯, ৭ জুন ২০২৫ (ইউটিসি)
::@[[ব্যবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] [[ব্যবহারকারী:Md Mobashir Hossain|Md Mobashir Hossain]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:Md Mobashir Hossain|আলাপ]]) ০৭:৪৮, ৮ জুলাই ২০২৫ (ইউটিসি)
:::@[[ব্যবহারকারী:Md Mobashir Hossain|Md Mobashir Hossain]] অনুবাদ এখনো যান্ত্রিক তাই গ্রহন করা হয়নি [[ব্যবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:R1F4T|আলাপ]]) ০৮:৪৮, ৮ জুলাই ২০২৫ (ইউটিসি)
::::@[[ব্যবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] [[অতীন্দ্রিয়বাদ/প্রার্থনা]] ? [[ব্যবহারকারী:Md Mobashir Hossain|Md Mobashir Hossain]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:Md Mobashir Hossain|আলাপ]]) ০৯:২৫, ৮ জুলাই ২০২৫ (ইউটিসি)
== মার্ক যোগ হচ্ছে না কেন? ==
২ টি আর্টিকেল লেখা হয়েছে কিন্তু এখনো কোনো মার্কস যোগ হয়নি [[ব্যবহারকারী:Azizul Islam Abir|Azizul Islam Abir]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:Azizul Islam Abir|আলাপ]]) ১৩:৪৪, ১৮ মে ২০২৫ (ইউটিসি)
:@[[ব্যবহারকারী:Azizul Islam Abir|Azizul Islam Abir]] যেহুতু পর্যালোচকগণ স্বেচ্ছাসেবক তাই তারা তাদের ফাঁকা সময় পর্যালোচনা করেন তাই একটু দেরি হতে পারে তবে ফল প্রকাশের পূর্বেই সব নিবন্ধ পর্যালোচনা করা হবে [[ব্যবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:R1F4T|আলাপ]]) ১৩:৪৭, ১৮ মে ২০২৫ (ইউটিসি)
::ভাইয়া উইকিবই লিখন প্রতিযোগিতা 2025 এর অনলাইন সনদ টি এখন ও পেলাম না মেইল চেক দিয়েছি স্প্যাম চেক দিয়েছি এখন ও পাইনি [[ব্যবহারকারী:Azizul Islam Abir|Azizul Islam Abir]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:Azizul Islam Abir|আলাপ]]) ১৪:৪৪, ২ জুলাই ২০২৫ (ইউটিসি)
== [[রন্ধনপ্রণালী:চালতার টক]] ==
পরামর্শ অংশটি সহজ ভাষায় লেখা হয়েছে। পুনরায় যাচাই করুন [[ব্যবহারকারী:MD Abu Siyam|MD Abu Siyam]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:MD Abu Siyam|আলাপ]]) ১৫:২০, ৫ জুন ২০২৫ (ইউটিসি)
== [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/নাথিং ডেটা টাইপ]] ==
সহজ ভাষায় লেখা হয়েছে, পুনরায় দেখুন [[ব্যবহারকারী:MD Abu Siyam|MD Abu Siyam]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:MD Abu Siyam|আলাপ]]) ১৫:২৬, ৫ জুন ২০২৫ (ইউটিসি)
== [[রন্ধনপ্রণালী:নুনগড়া পিঠা]] ==
পুনরায় দেখুন [[ব্যবহারকারী:MD Abu Siyam|MD Abu Siyam]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:MD Abu Siyam|আলাপ]]) ১১:১৯, ৮ জুন ২০২৫ (ইউটিসি)
== [[রন্ধনপ্রণালী:চুষি পিঠা]] ==
পুনরায় দেখবেন [[ব্যবহারকারী:MD Abu Siyam|MD Abu Siyam]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:MD Abu Siyam|আলাপ]]) ১১:২২, ৮ জুন ২০২৫ (ইউটিসি)
== পুনরায় যাচাই করবেন ==
উক্ত নিবন্ধ গুলোর স্বাস্থ্য বিষয়ক অংশ, যান্ত্রিকতা দূর করে প্রয়োজনীয় সম্পাদনা করা হয়েছে। পুনরায় যাচাই করবেন —
# [[রন্ধনপ্রণালী:ফিস পাকোড়া]]
# [[রন্ধনপ্রণালী:বোরহানি]]
# [[রন্ধনপ্রণালী:সাম্বর]]
# [[রন্ধনপ্রণালী:চিকেন হারিয়ালি কাবাব]]
# [[রন্ধনপ্রণালী:চিকেন রেশমি কাবাব]]
# [[রন্ধনপ্রণালী:বাঁশকোরার ভর্তা]]
[[ব্যবহারকারী:MD Abu Siyam|MD Abu Siyam]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:MD Abu Siyam|আলাপ]]) ০৩:১৫, ১৬ জুন ২০২৫ (ইউটিসি)
== [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/জৈবচিকিৎসীয় আলট্রাসাউন্ড]] ==
বাংলা পরিভাষা যোগ করা হয়েছে। পুনরায় পর্যালোচনার জন্য অনুরোধ করছি। [[ব্যবহারকারী:Asikur.rahman25|Asikur.rahman25]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:Asikur.rahman25|আলাপ]]) ০৬:২৬, ১৯ জুন ২০২৫ (ইউটিসি)
6hz5272is58nhc0ayd3ufqdfzlhn7na
85836
85835
2025-07-08T09:29:47Z
R1F4T
9121
/* পুনঃপর্যালোচনার আবেদন */ উত্তর
85836
wikitext
text/x-wiki
== বাংলা উইকিবইয়ে স্বাগত ==
{{স্বাগত/২য় সংস্করণ}} ১৮:৪০, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ (ইউটিসি)
== সম্পাদনা দ্বন্দ্ব ==
প্রিয় R1F4T,
বই সম্পাদনা কালে আমি আপনার সম্পাদনা করতে চাওয়া ([[:en:Famous Theorems of Mathematics/Pythagorean trigonometric identity|Famous Theorems of Mathematics/Pythagorean trigonometric identity]]) পাতাটি বইয়ের ভিতরে গিয়ে তৈরি না অবস্থায় পাওয়ার পর [[গণিতের বিখ্যাত উপপাদ্য/পিথাগোরাসের ত্রিকোণোমিতির অভেদক|তৈরি করে ফেলেছি]]। কিন্তু আপনি সম্পাদান করতে চেয়েছেন এটা আগে খেয়াল করতে পারিনি। এজন্য দুঃখ প্রকাশ করছি।
[[ব্যবহারকারী:Ashiqur Rahman|Ashiqur Rahman]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:Ashiqur Rahman|আলাপ]]) ১৪:১৯, ৪ জুন ২০২৪ (ইউটিসি)
:সমস্যা নেই। আপনি করুন অনুবাদ [[ব্যবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:R1F4T|আলাপ]]) ১৪:২৯, ৪ জুন ২০২৪ (ইউটিসি)
== [[উইকিবই:উইকিবই লিখন প্রতিযোগিতা ২০২৫|উইকিবই লিখন প্রতিযোগিতা ২০২৫: অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ]] ==
{| style="background-color: #f8f9fa; border: 1px solid #ced4da; padding:10px; color: #212529;"
|-
|[[File:Bangla Wikibooks Writing contest 2025 Banner (2).png|frameless|center|300px|link=[[উইকিবই:উইকিবই লিখন প্রতিযোগিতা ২০২৫]]]]<br/>
সুপ্রিয় R1F4T,
আশা করি এই গ্রীষ্মের এই রৌদ্রোজ্জ্বল তপ্ত আবহাওয়াতেও ভালো আছেন। আপনার জ্ঞাতার্থে জানাচ্ছি যে, গত ৭ মে থেকে বাংলা উইকিবইয়ে '''[[উইকিবই:উইকিবই লিখন প্রতিযোগিতা ২০২৫|উইকিবই লিখন প্রতিযোগিতা ২০২৫]]''' শীর্ষক একটি বই লিখন ও অনুবাদ প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। আপনাকে এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। প্রতিযোগিতাটি অভিজ্ঞ, অনভিজ্ঞ ও নতুন ব্যবহারকারী সকলের জন্যই মুক্ত।
অন্যান্য ভাষার উইকিবইয়ের চাইতে বাংলা উইকিবইয়ে অবদানকারীর সংখ্যা নিতান্তই কম, এমনকি সংখ্যাটি বাংলা উইকিপিডিয়ার তুলনায়ও নগণ্য। অথচ ডিজিটাল বইয়ের এই যুগে বাংলা উইকিবই যথেষ্ট গুরত্বের দাবি রাখে। এজন্য আমাদের আরও স্বেচ্ছাসেবক প্রয়োজন। আশা করি আপনি এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবেন ও উইকিবইকে সমৃদ্ধ করবেন। বিস্তারিত [[উইকিবই:উইকিবই লিখন প্রতিযোগিতা ২০২৫|প্রকল্প পাতায়]] দেখুন।
'''শীর্ষ অবদানকারীদের জন্য পুরষ্কার'''
* ১ম স্থান অধিকারকারী ― ৬০০০ টাকার গিফট ভাউচার ও মুদ্রিত সনদপত্র
* ২য় স্থান অধিকারকারী ― ৪০০০ টাকার গিফট ভাউচার ও মুদ্রিত সনদপত্র
* ৩য় স্থান অধিকারকারী ― ৩০০০ টাকার গিফট ভাউচার ও মুদ্রিত সনদপত্র
* ৪র্থ স্থান অধিকারকারী ― ২৫০০ টাকার গিফট ভাউচার ও মুদ্রিত সনদপত্র
* ৫ম স্থান অধিকারকারী ― ২০০০ টাকার গিফট ভাউচার ও মুদ্রিত সনদপত্র
* ৬ষ্ঠ থেকে ১০তম স্থান অধিকারকারী (৫ জন) ― ৫০০ টাকার গিফট ভাউচার ও মুদ্রিত সনদপত্র
* কমপক্ষে একটি পাতা গৃহীত হলে ― ডিজিটাল সনদপত্র
প্রতিযোগিতায় আপনাকে স্বাগত।<br />
শুভেচ্ছান্তে, <br /> —[[ব্যবহারকারী:MdsShakil|শাকিল]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:MdsShakil|আলাপ]]) ০৬:৪৪, ১১ মে ২০২৫ (ইউটিসি)
|}
<!-- https://bn.wikibooks.org/w/index.php?title=%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%AC%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%80:MdsShakil/%E0%A6%97%E0%A6%A3%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BE&oldid=74028-এর তালিকা ব্যবহার করে বার্তাটি ব্যবহারকারী:MdsShakil@bnwikibooks পাঠিয়েছেন -->
== পুনঃপর্যালোচনার আবেদন ==
আসসালামুয়ালাইকুম রিফাত ভাই, [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/স্বাদতন্ত্র]] পাতাটি পুনরায় পর্যালোচনা করার জন্য বিনীতভাবে আহ্বান জানাচ্ছি। [[ব্যবহারকারী:Md Mobashir Hossain|Md Mobashir Hossain]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:Md Mobashir Hossain|আলাপ]]) ০৫:৩১, ১৪ মে ২০২৫ (ইউটিসি)
:রিফাত ভাই, আপনার বক্তব্য অনুযায়ী [[রন্ধনপ্রণালী:বিফ ভুনা]] ঠিক করেছি। [[ব্যবহারকারী:Md Mobashir Hossain|Md Mobashir Hossain]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:Md Mobashir Hossain|আলাপ]]) ০৫:৪৩, ১৪ মে ২০২৫ (ইউটিসি)
:@[[ব্যবহারকারী:Md Mobashir Hossain|Md Mobashir Hossain]] [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/স্বাদতন্ত্র]] নিবন্ধটি গৃহীত হয়নি।
:কারণ: অসম্পূর্ণ অনুবাদ
:এবং পর্যালোচনার নীতিমালা অনুসারে সংশোধনের আর সুযোগ দেয়া হবে না। [[ব্যবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:R1F4T|আলাপ]]) ০৭:০২, ১৪ মে ২০২৫ (ইউটিসি)
::@[[ব্যবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] {{আপনাকে ধন্যবাদ}} [[ব্যবহারকারী:Md Mobashir Hossain|Md Mobashir Hossain]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:Md Mobashir Hossain|আলাপ]]) ০৭:০৩, ১৪ মে ২০২৫ (ইউটিসি)
:::@[[ব্যবহারকারী:Md Mobashir Hossain|Md Mobashir Hossain]]
:::এছাড়াও আপনাকে নিবন্ধটি ai দিয়ে অনুবাদ এবং প্রয়োজনীয় সংশোধনী না করায় সতর্ক করা হলো। [[ব্যবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:R1F4T|আলাপ]]) ০৭:২১, ১৪ মে ২০২৫ (ইউটিসি)
::::@[[ব্যবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] [[অতীন্দ্রিয়বাদ/প্রার্থনা]] পাতাটি পুনরায় দেখুন! [[ব্যবহারকারী:Md Mobashir Hossain|Md Mobashir Hossain]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:Md Mobashir Hossain|আলাপ]]) ১০:৫৯, ৪ জুন ২০২৫ (ইউটিসি)
:::::@[[ব্যবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] [[ব্যবহারকারী:Md Mobashir Hossain|Md Mobashir Hossain]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:Md Mobashir Hossain|আলাপ]]) ০৭:৪৮, ৮ জুলাই ২০২৫ (ইউটিসি)
:সুপ্রিয় উইকিমিডিয়ান, আপনাকে ঈদ মোবারক! দয়া করে এই পাতাটি পুনরায় দেখুন - [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/বিদ্যুৎ]] [[ব্যবহারকারী:Md Mobashir Hossain|Md Mobashir Hossain]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:Md Mobashir Hossain|আলাপ]]) ০৯:২৭, ৭ জুন ২০২৫ (ইউটিসি)
::[[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/শক্তি]] দেখুন [[ব্যবহারকারী:Md Mobashir Hossain|Md Mobashir Hossain]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:Md Mobashir Hossain|আলাপ]]) ০৯:২৯, ৭ জুন ২০২৫ (ইউটিসি)
::@[[ব্যবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] [[ব্যবহারকারী:Md Mobashir Hossain|Md Mobashir Hossain]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:Md Mobashir Hossain|আলাপ]]) ০৭:৪৮, ৮ জুলাই ২০২৫ (ইউটিসি)
:::@[[ব্যবহারকারী:Md Mobashir Hossain|Md Mobashir Hossain]] অনুবাদ এখনো যান্ত্রিক তাই গ্রহন করা হয়নি [[ব্যবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:R1F4T|আলাপ]]) ০৮:৪৮, ৮ জুলাই ২০২৫ (ইউটিসি)
::::@[[ব্যবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] [[অতীন্দ্রিয়বাদ/প্রার্থনা]] ? [[ব্যবহারকারী:Md Mobashir Hossain|Md Mobashir Hossain]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:Md Mobashir Hossain|আলাপ]]) ০৯:২৫, ৮ জুলাই ২০২৫ (ইউটিসি)
:::::@[[ব্যবহারকারী:Md Mobashir Hossain|Md Mobashir Hossain]] দেখছি [[ব্যবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:R1F4T|আলাপ]]) ০৯:২৯, ৮ জুলাই ২০২৫ (ইউটিসি)
== মার্ক যোগ হচ্ছে না কেন? ==
২ টি আর্টিকেল লেখা হয়েছে কিন্তু এখনো কোনো মার্কস যোগ হয়নি [[ব্যবহারকারী:Azizul Islam Abir|Azizul Islam Abir]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:Azizul Islam Abir|আলাপ]]) ১৩:৪৪, ১৮ মে ২০২৫ (ইউটিসি)
:@[[ব্যবহারকারী:Azizul Islam Abir|Azizul Islam Abir]] যেহুতু পর্যালোচকগণ স্বেচ্ছাসেবক তাই তারা তাদের ফাঁকা সময় পর্যালোচনা করেন তাই একটু দেরি হতে পারে তবে ফল প্রকাশের পূর্বেই সব নিবন্ধ পর্যালোচনা করা হবে [[ব্যবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:R1F4T|আলাপ]]) ১৩:৪৭, ১৮ মে ২০২৫ (ইউটিসি)
::ভাইয়া উইকিবই লিখন প্রতিযোগিতা 2025 এর অনলাইন সনদ টি এখন ও পেলাম না মেইল চেক দিয়েছি স্প্যাম চেক দিয়েছি এখন ও পাইনি [[ব্যবহারকারী:Azizul Islam Abir|Azizul Islam Abir]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:Azizul Islam Abir|আলাপ]]) ১৪:৪৪, ২ জুলাই ২০২৫ (ইউটিসি)
== [[রন্ধনপ্রণালী:চালতার টক]] ==
পরামর্শ অংশটি সহজ ভাষায় লেখা হয়েছে। পুনরায় যাচাই করুন [[ব্যবহারকারী:MD Abu Siyam|MD Abu Siyam]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:MD Abu Siyam|আলাপ]]) ১৫:২০, ৫ জুন ২০২৫ (ইউটিসি)
== [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/নাথিং ডেটা টাইপ]] ==
সহজ ভাষায় লেখা হয়েছে, পুনরায় দেখুন [[ব্যবহারকারী:MD Abu Siyam|MD Abu Siyam]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:MD Abu Siyam|আলাপ]]) ১৫:২৬, ৫ জুন ২০২৫ (ইউটিসি)
== [[রন্ধনপ্রণালী:নুনগড়া পিঠা]] ==
পুনরায় দেখুন [[ব্যবহারকারী:MD Abu Siyam|MD Abu Siyam]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:MD Abu Siyam|আলাপ]]) ১১:১৯, ৮ জুন ২০২৫ (ইউটিসি)
== [[রন্ধনপ্রণালী:চুষি পিঠা]] ==
পুনরায় দেখবেন [[ব্যবহারকারী:MD Abu Siyam|MD Abu Siyam]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:MD Abu Siyam|আলাপ]]) ১১:২২, ৮ জুন ২০২৫ (ইউটিসি)
== পুনরায় যাচাই করবেন ==
উক্ত নিবন্ধ গুলোর স্বাস্থ্য বিষয়ক অংশ, যান্ত্রিকতা দূর করে প্রয়োজনীয় সম্পাদনা করা হয়েছে। পুনরায় যাচাই করবেন —
# [[রন্ধনপ্রণালী:ফিস পাকোড়া]]
# [[রন্ধনপ্রণালী:বোরহানি]]
# [[রন্ধনপ্রণালী:সাম্বর]]
# [[রন্ধনপ্রণালী:চিকেন হারিয়ালি কাবাব]]
# [[রন্ধনপ্রণালী:চিকেন রেশমি কাবাব]]
# [[রন্ধনপ্রণালী:বাঁশকোরার ভর্তা]]
[[ব্যবহারকারী:MD Abu Siyam|MD Abu Siyam]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:MD Abu Siyam|আলাপ]]) ০৩:১৫, ১৬ জুন ২০২৫ (ইউটিসি)
== [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/জৈবচিকিৎসীয় আলট্রাসাউন্ড]] ==
বাংলা পরিভাষা যোগ করা হয়েছে। পুনরায় পর্যালোচনার জন্য অনুরোধ করছি। [[ব্যবহারকারী:Asikur.rahman25|Asikur.rahman25]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:Asikur.rahman25|আলাপ]]) ০৬:২৬, ১৯ জুন ২০২৫ (ইউটিসি)
840awzpw6631icsl12tfww4xa92bvud
85838
85836
2025-07-08T09:35:33Z
R1F4T
9121
/* পুনঃপর্যালোচনার আবেদন */ উত্তর
85838
wikitext
text/x-wiki
== বাংলা উইকিবইয়ে স্বাগত ==
{{স্বাগত/২য় সংস্করণ}} ১৮:৪০, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ (ইউটিসি)
== সম্পাদনা দ্বন্দ্ব ==
প্রিয় R1F4T,
বই সম্পাদনা কালে আমি আপনার সম্পাদনা করতে চাওয়া ([[:en:Famous Theorems of Mathematics/Pythagorean trigonometric identity|Famous Theorems of Mathematics/Pythagorean trigonometric identity]]) পাতাটি বইয়ের ভিতরে গিয়ে তৈরি না অবস্থায় পাওয়ার পর [[গণিতের বিখ্যাত উপপাদ্য/পিথাগোরাসের ত্রিকোণোমিতির অভেদক|তৈরি করে ফেলেছি]]। কিন্তু আপনি সম্পাদান করতে চেয়েছেন এটা আগে খেয়াল করতে পারিনি। এজন্য দুঃখ প্রকাশ করছি।
[[ব্যবহারকারী:Ashiqur Rahman|Ashiqur Rahman]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:Ashiqur Rahman|আলাপ]]) ১৪:১৯, ৪ জুন ২০২৪ (ইউটিসি)
:সমস্যা নেই। আপনি করুন অনুবাদ [[ব্যবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:R1F4T|আলাপ]]) ১৪:২৯, ৪ জুন ২০২৪ (ইউটিসি)
== [[উইকিবই:উইকিবই লিখন প্রতিযোগিতা ২০২৫|উইকিবই লিখন প্রতিযোগিতা ২০২৫: অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ]] ==
{| style="background-color: #f8f9fa; border: 1px solid #ced4da; padding:10px; color: #212529;"
|-
|[[File:Bangla Wikibooks Writing contest 2025 Banner (2).png|frameless|center|300px|link=[[উইকিবই:উইকিবই লিখন প্রতিযোগিতা ২০২৫]]]]<br/>
সুপ্রিয় R1F4T,
আশা করি এই গ্রীষ্মের এই রৌদ্রোজ্জ্বল তপ্ত আবহাওয়াতেও ভালো আছেন। আপনার জ্ঞাতার্থে জানাচ্ছি যে, গত ৭ মে থেকে বাংলা উইকিবইয়ে '''[[উইকিবই:উইকিবই লিখন প্রতিযোগিতা ২০২৫|উইকিবই লিখন প্রতিযোগিতা ২০২৫]]''' শীর্ষক একটি বই লিখন ও অনুবাদ প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। আপনাকে এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। প্রতিযোগিতাটি অভিজ্ঞ, অনভিজ্ঞ ও নতুন ব্যবহারকারী সকলের জন্যই মুক্ত।
অন্যান্য ভাষার উইকিবইয়ের চাইতে বাংলা উইকিবইয়ে অবদানকারীর সংখ্যা নিতান্তই কম, এমনকি সংখ্যাটি বাংলা উইকিপিডিয়ার তুলনায়ও নগণ্য। অথচ ডিজিটাল বইয়ের এই যুগে বাংলা উইকিবই যথেষ্ট গুরত্বের দাবি রাখে। এজন্য আমাদের আরও স্বেচ্ছাসেবক প্রয়োজন। আশা করি আপনি এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবেন ও উইকিবইকে সমৃদ্ধ করবেন। বিস্তারিত [[উইকিবই:উইকিবই লিখন প্রতিযোগিতা ২০২৫|প্রকল্প পাতায়]] দেখুন।
'''শীর্ষ অবদানকারীদের জন্য পুরষ্কার'''
* ১ম স্থান অধিকারকারী ― ৬০০০ টাকার গিফট ভাউচার ও মুদ্রিত সনদপত্র
* ২য় স্থান অধিকারকারী ― ৪০০০ টাকার গিফট ভাউচার ও মুদ্রিত সনদপত্র
* ৩য় স্থান অধিকারকারী ― ৩০০০ টাকার গিফট ভাউচার ও মুদ্রিত সনদপত্র
* ৪র্থ স্থান অধিকারকারী ― ২৫০০ টাকার গিফট ভাউচার ও মুদ্রিত সনদপত্র
* ৫ম স্থান অধিকারকারী ― ২০০০ টাকার গিফট ভাউচার ও মুদ্রিত সনদপত্র
* ৬ষ্ঠ থেকে ১০তম স্থান অধিকারকারী (৫ জন) ― ৫০০ টাকার গিফট ভাউচার ও মুদ্রিত সনদপত্র
* কমপক্ষে একটি পাতা গৃহীত হলে ― ডিজিটাল সনদপত্র
প্রতিযোগিতায় আপনাকে স্বাগত।<br />
শুভেচ্ছান্তে, <br /> —[[ব্যবহারকারী:MdsShakil|শাকিল]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:MdsShakil|আলাপ]]) ০৬:৪৪, ১১ মে ২০২৫ (ইউটিসি)
|}
<!-- https://bn.wikibooks.org/w/index.php?title=%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%AC%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%80:MdsShakil/%E0%A6%97%E0%A6%A3%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BE&oldid=74028-এর তালিকা ব্যবহার করে বার্তাটি ব্যবহারকারী:MdsShakil@bnwikibooks পাঠিয়েছেন -->
== পুনঃপর্যালোচনার আবেদন ==
আসসালামুয়ালাইকুম রিফাত ভাই, [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/স্বাদতন্ত্র]] পাতাটি পুনরায় পর্যালোচনা করার জন্য বিনীতভাবে আহ্বান জানাচ্ছি। [[ব্যবহারকারী:Md Mobashir Hossain|Md Mobashir Hossain]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:Md Mobashir Hossain|আলাপ]]) ০৫:৩১, ১৪ মে ২০২৫ (ইউটিসি)
:রিফাত ভাই, আপনার বক্তব্য অনুযায়ী [[রন্ধনপ্রণালী:বিফ ভুনা]] ঠিক করেছি। [[ব্যবহারকারী:Md Mobashir Hossain|Md Mobashir Hossain]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:Md Mobashir Hossain|আলাপ]]) ০৫:৪৩, ১৪ মে ২০২৫ (ইউটিসি)
:@[[ব্যবহারকারী:Md Mobashir Hossain|Md Mobashir Hossain]] [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/স্বাদতন্ত্র]] নিবন্ধটি গৃহীত হয়নি।
:কারণ: অসম্পূর্ণ অনুবাদ
:এবং পর্যালোচনার নীতিমালা অনুসারে সংশোধনের আর সুযোগ দেয়া হবে না। [[ব্যবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:R1F4T|আলাপ]]) ০৭:০২, ১৪ মে ২০২৫ (ইউটিসি)
::@[[ব্যবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] {{আপনাকে ধন্যবাদ}} [[ব্যবহারকারী:Md Mobashir Hossain|Md Mobashir Hossain]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:Md Mobashir Hossain|আলাপ]]) ০৭:০৩, ১৪ মে ২০২৫ (ইউটিসি)
:::@[[ব্যবহারকারী:Md Mobashir Hossain|Md Mobashir Hossain]]
:::এছাড়াও আপনাকে নিবন্ধটি ai দিয়ে অনুবাদ এবং প্রয়োজনীয় সংশোধনী না করায় সতর্ক করা হলো। [[ব্যবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:R1F4T|আলাপ]]) ০৭:২১, ১৪ মে ২০২৫ (ইউটিসি)
::::@[[ব্যবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] [[অতীন্দ্রিয়বাদ/প্রার্থনা]] পাতাটি পুনরায় দেখুন! [[ব্যবহারকারী:Md Mobashir Hossain|Md Mobashir Hossain]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:Md Mobashir Hossain|আলাপ]]) ১০:৫৯, ৪ জুন ২০২৫ (ইউটিসি)
:::::@[[ব্যবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] [[ব্যবহারকারী:Md Mobashir Hossain|Md Mobashir Hossain]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:Md Mobashir Hossain|আলাপ]]) ০৭:৪৮, ৮ জুলাই ২০২৫ (ইউটিসি)
:সুপ্রিয় উইকিমিডিয়ান, আপনাকে ঈদ মোবারক! দয়া করে এই পাতাটি পুনরায় দেখুন - [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/বিদ্যুৎ]] [[ব্যবহারকারী:Md Mobashir Hossain|Md Mobashir Hossain]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:Md Mobashir Hossain|আলাপ]]) ০৯:২৭, ৭ জুন ২০২৫ (ইউটিসি)
::[[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/শক্তি]] দেখুন [[ব্যবহারকারী:Md Mobashir Hossain|Md Mobashir Hossain]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:Md Mobashir Hossain|আলাপ]]) ০৯:২৯, ৭ জুন ২০২৫ (ইউটিসি)
::@[[ব্যবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] [[ব্যবহারকারী:Md Mobashir Hossain|Md Mobashir Hossain]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:Md Mobashir Hossain|আলাপ]]) ০৭:৪৮, ৮ জুলাই ২০২৫ (ইউটিসি)
:::@[[ব্যবহারকারী:Md Mobashir Hossain|Md Mobashir Hossain]] অনুবাদ এখনো যান্ত্রিক তাই গ্রহন করা হয়নি [[ব্যবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:R1F4T|আলাপ]]) ০৮:৪৮, ৮ জুলাই ২০২৫ (ইউটিসি)
::::@[[ব্যবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] [[অতীন্দ্রিয়বাদ/প্রার্থনা]] ? [[ব্যবহারকারী:Md Mobashir Hossain|Md Mobashir Hossain]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:Md Mobashir Hossain|আলাপ]]) ০৯:২৫, ৮ জুলাই ২০২৫ (ইউটিসি)
:::::@[[ব্যবহারকারী:Md Mobashir Hossain|Md Mobashir Hossain]] দেখছি [[ব্যবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:R1F4T|আলাপ]]) ০৯:২৯, ৮ জুলাই ২০২৫ (ইউটিসি)
::::::@[[ব্যবহারকারী:Md Mobashir Hossain|Md Mobashir Hossain]] {{done|গৃহীত}} [[ব্যবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:R1F4T|আলাপ]]) ০৯:৩৫, ৮ জুলাই ২০২৫ (ইউটিসি)
== মার্ক যোগ হচ্ছে না কেন? ==
২ টি আর্টিকেল লেখা হয়েছে কিন্তু এখনো কোনো মার্কস যোগ হয়নি [[ব্যবহারকারী:Azizul Islam Abir|Azizul Islam Abir]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:Azizul Islam Abir|আলাপ]]) ১৩:৪৪, ১৮ মে ২০২৫ (ইউটিসি)
:@[[ব্যবহারকারী:Azizul Islam Abir|Azizul Islam Abir]] যেহুতু পর্যালোচকগণ স্বেচ্ছাসেবক তাই তারা তাদের ফাঁকা সময় পর্যালোচনা করেন তাই একটু দেরি হতে পারে তবে ফল প্রকাশের পূর্বেই সব নিবন্ধ পর্যালোচনা করা হবে [[ব্যবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:R1F4T|আলাপ]]) ১৩:৪৭, ১৮ মে ২০২৫ (ইউটিসি)
::ভাইয়া উইকিবই লিখন প্রতিযোগিতা 2025 এর অনলাইন সনদ টি এখন ও পেলাম না মেইল চেক দিয়েছি স্প্যাম চেক দিয়েছি এখন ও পাইনি [[ব্যবহারকারী:Azizul Islam Abir|Azizul Islam Abir]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:Azizul Islam Abir|আলাপ]]) ১৪:৪৪, ২ জুলাই ২০২৫ (ইউটিসি)
== [[রন্ধনপ্রণালী:চালতার টক]] ==
পরামর্শ অংশটি সহজ ভাষায় লেখা হয়েছে। পুনরায় যাচাই করুন [[ব্যবহারকারী:MD Abu Siyam|MD Abu Siyam]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:MD Abu Siyam|আলাপ]]) ১৫:২০, ৫ জুন ২০২৫ (ইউটিসি)
== [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/নাথিং ডেটা টাইপ]] ==
সহজ ভাষায় লেখা হয়েছে, পুনরায় দেখুন [[ব্যবহারকারী:MD Abu Siyam|MD Abu Siyam]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:MD Abu Siyam|আলাপ]]) ১৫:২৬, ৫ জুন ২০২৫ (ইউটিসি)
== [[রন্ধনপ্রণালী:নুনগড়া পিঠা]] ==
পুনরায় দেখুন [[ব্যবহারকারী:MD Abu Siyam|MD Abu Siyam]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:MD Abu Siyam|আলাপ]]) ১১:১৯, ৮ জুন ২০২৫ (ইউটিসি)
== [[রন্ধনপ্রণালী:চুষি পিঠা]] ==
পুনরায় দেখবেন [[ব্যবহারকারী:MD Abu Siyam|MD Abu Siyam]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:MD Abu Siyam|আলাপ]]) ১১:২২, ৮ জুন ২০২৫ (ইউটিসি)
== পুনরায় যাচাই করবেন ==
উক্ত নিবন্ধ গুলোর স্বাস্থ্য বিষয়ক অংশ, যান্ত্রিকতা দূর করে প্রয়োজনীয় সম্পাদনা করা হয়েছে। পুনরায় যাচাই করবেন —
# [[রন্ধনপ্রণালী:ফিস পাকোড়া]]
# [[রন্ধনপ্রণালী:বোরহানি]]
# [[রন্ধনপ্রণালী:সাম্বর]]
# [[রন্ধনপ্রণালী:চিকেন হারিয়ালি কাবাব]]
# [[রন্ধনপ্রণালী:চিকেন রেশমি কাবাব]]
# [[রন্ধনপ্রণালী:বাঁশকোরার ভর্তা]]
[[ব্যবহারকারী:MD Abu Siyam|MD Abu Siyam]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:MD Abu Siyam|আলাপ]]) ০৩:১৫, ১৬ জুন ২০২৫ (ইউটিসি)
== [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/জৈবচিকিৎসীয় আলট্রাসাউন্ড]] ==
বাংলা পরিভাষা যোগ করা হয়েছে। পুনরায় পর্যালোচনার জন্য অনুরোধ করছি। [[ব্যবহারকারী:Asikur.rahman25|Asikur.rahman25]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:Asikur.rahman25|আলাপ]]) ০৬:২৬, ১৯ জুন ২০২৫ (ইউটিসি)
hlkhwvzcdnsqoy4nz8gshd8qrvukje7
ব্যবহারকারী:R1F4T/খেলাঘর
2
18619
85794
85788
2025-07-07T12:36:33Z
R1F4T
9121
85794
wikitext
text/x-wiki
;পর্যালোচনা পরিসংখ্যান
{| class="wikitable sortable"
! # !! পর্যালোচক !! পর্যালোচনা সংখ্যা
|-
| ১ || MS Sakib || ৩০৪
|-
| ২ || NusJaS || ২৯৮
|-
| ৩ || MdsShakil || ২৯৭
|-
| ৪ || R1F4T || ২১০
|-
| ৫ || Mehedi Abedin || ২০০
|-
| ৬ || Ishtiak Abdullah || ১৫৩
|-
| ৭ || Tahmid || ১৪৮
|-
| ৮ || Yahya || ১৩৮
|-
! colspan="2" | মোট পর্যালোচিত পৃষ্ঠা || ১৭৪৮টি
|}
siiym9jyz8d0vx6ji3t4ltfty8ey0px
85797
85794
2025-07-07T20:24:44Z
R1F4T
9121
85797
wikitext
text/x-wiki
;পর্যালোচনা পরিসংখ্যান
{| class="wikitable sortable"
! # !! পর্যালোচক !! পর্যালোচনা সংখ্যা
|-
| ১ || MdsShakil || ৩১৩
|-
| ২ || MS Sakib || ৩০৪
|-
| ৩ || NusJaS || ২৯৮
|-
| ৪ || R1F4T || ২১০
|-
| ৫ || Mehedi Abedin || ২০১
|-
| ৬ || Ishtiak Abdullah || ১৫৩
|-
| ৭ || Tahmid || ১৪৮
|-
| ৮ || Yahya || ১৩৮
|-
! colspan="2" | মোট পর্যালোচিত পৃষ্ঠা || ১৭৬৫টি
|}
ehbj188fmak59h6flklpyigwg4es3r4
টেমপ্লেট:উইকিবই লিখন প্রতিযোগিতা ২০২৫
10
22616
85813
72112
2025-07-08T04:19:00Z
MdsShakil
7280
85813
wikitext
text/x-wiki
{{প্রবেশদ্বার পরিভ্রমণ
| headerstyle = font-size:1.2em; border-radius:2px;
| themecolor = #2a62a1
| portalname =
| wrc = no
| active = {{{সক্রিয়|}}}
| icon1 = [[চিত্র:Home font awesome.svg|x25px|link=উইকিবই:উইকিবই লিখন প্রতিযোগিতা ২০২৫]]
| tab1 = [[উইকিবই:উইকিবই লিখন প্রতিযোগিতা ২০২৫|নীড়]]
| icon2 = [[চিত্র:User font awesome.svg|x25px|link=উইকিবই:উইকিবই লিখন প্রতিযোগিতা ২০২৫/অংশগ্রহণকারী]]
| tab2 = [[উইকিবই:উইকিবই লিখন প্রতিযোগিতা ২০২৫/অংশগ্রহণকারী|অংশগ্রহণ]]
| icon3 = [[চিত্র:List font awesome.svg|x25px|link=উইকিবই:উইকিবই লিখন প্রতিযোগিতা ২০২৫/বইয়ের তালিকা]]
| tab3 = [[উইকিবই:উইকিবই লিখন প্রতিযোগিতা ২০২৫/বইয়ের তালিকা|বইয়ের তালিকা]]
| icon4 = [[চিত্র:Pencil font awesome.svg|x25px|link=উইকিবই:উইকিবই লিখন প্রতিযোগিতা ২০২৫/কীভাবে অনুবাদ করবেন]]
| tab4 = [[উইকিবই:উইকিবই লিখন প্রতিযোগিতা ২০২৫/কীভাবে অনুবাদ করবেন|টিউটোরিয়াল]]
| icon5 = [[চিত্র:Font Awesome 5 solid chart-bar.svg |x25px|link=https://fountain.toolforge.org/editathons/wrcbn2025]]
| tab5 = {{plain link|https://fountain.toolforge.org/editathons/wrcbn2025|জমাদান}}
| icon6 = [[চিত্র:Comments font awesome.svg|x25px|link=উইকিবই আলোচনা:উইকিবই লিখন প্রতিযোগিতা ২০২৫]]
| tab6 = [[উইকিবই আলোচনা:উইকিবই লিখন প্রতিযোগিতা ২০২৫|আলোচনা]]
| icon7 = [[চিত্র:Bullhorn font awesome.svg|x25px|link=উইকিবই:উইকিবই লিখন প্রতিযোগিতা ২০২৫/ফলাফল]]
| tab7 = [[উইকিবই:উইকিবই লিখন প্রতিযোগিতা ২০২৫/ফলাফল|ফলাফল]]
}}<includeonly>{{#ifeq:{{NAMESPACE}}|উইকিবই|[[বিষয়শ্রেণী:উইকিবই লিখন প্রতিযোগিতা ২০২৫]]}}</includeonly><noinclude>
{{নথি}}
[[বিষয়শ্রেণী:টেমপ্লেট]]
</noinclude>
9i27frhq6y0ln3it2xb6pqf6kwb4qi3
অতীন্দ্রিয়বাদ/প্রার্থনা
0
22816
85837
81927
2025-07-08T09:31:00Z
Md Mobashir Hossain
10853
/* */
85837
wikitext
text/x-wiki
[[Image:Maria Magdalene praying.jpg|right|thumb]]
'''প্রার্থনা হলো এমন একটি উপাসনা বা কাজ যা ইচ্ছাকৃত যোগাযোগের মাধ্যমে কোনও দেবতা, উপাসনার বস্তু বা আধ্যাত্মিক সত্তার সাথে সম্পর্ক সক্রিয় করার চেষ্টা করে। সুতরাং, মানুষ ব্যক্তিগত সুবিধার জন্য বা অন্যদের জন্য প্রার্থনা করার মতো অনেক কারণে প্রার্থনা করে। বেশিরভাগ প্রধান ধর্মই কোনও না কোনও উপায়ে প্রার্থনাকে জড়িত করে। কেউ কেউ প্রার্থনার কাজকে রীতিনীতি হিসেবে গণ্য করে, কর্মের একটি কঠোর ক্রম প্রয়োজন হয় বা কাকে প্রার্থনা করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে তার উপর বিধিনিষেধ আরোপ করে, আবার কেউ কেউ শেখায় যে প্রার্থনা যে কোনও সময় যে কেউ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অনুশীলন করতে পারে।'''
==বৈজ্ঞানিক গবেষণা==
প্রার্থনার ব্যবহার সম্পর্কিত বৈজ্ঞানিক গবেষণাগুলি বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অসুস্থ বা আহত ব্যক্তিদের আরোগ্যের উপর এর প্রভাবের উপর কেন্দ্রীভূত হয়েছে। এই ক্ষেত্রে গবেষণার মেটা-স্টাডিগুলি কেবল কোনও প্রভাব ছাড়াই বা সম্ভাব্য ক্ষুদ্র প্রভাবের প্রমাণ দেখিয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, ২০০৬ সালে ১৪টি গবেষণার উপর একটি মেটা-বিশ্লেষণে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে যে "কোনও স্পষ্ট প্রভাব নেই" যখন ২০০৭ সালে মধ্যস্থতা প্রার্থনার একটি পদ্ধতিগত পর্যালোচনা অনির্দিষ্ট ফলাফলের কথা জানিয়েছে, উল্লেখ করেছে যে ১৭টি গবেষণার মধ্যে ৭টি "ছোট, কিন্তু উল্লেখযোগ্য, প্রভাবের আকার" ছিল তবে পর্যালোচনায় উল্লেখ করা হয়েছে যে সবচেয়ে পদ্ধতিগতভাবে কঠোর গবেষণা উল্লেখযোগ্য ফলাফল তৈরি করতে ব্যর্থ হয়েছে। দেবতার কাছে শারীরিক আরোগ্যের জন্য প্রার্থনার কার্যকারিতা অন্যান্য অসংখ্য গবেষণায় মূল্যায়ন করা হয়েছে, যার ফলাফল পরস্পরবিরোধী। (উইকিপিডিয়া)
একটি বৈজ্ঞানিক আন্দোলন স্নায়ুবিজ্ঞানের মাধ্যমে প্রার্থনার শারীরিক প্রভাব পর্যবেক্ষণ করার চেষ্টা করে। এই আন্দোলনের নেতাদের মধ্যে রয়েছেন পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক অ্যান্ড্রু নিউবার্গ। নিউবার্গের মস্তিষ্কের স্ক্যানে দেখা গেছে, সন্ন্যাসী, পুরোহিত, সন্ন্যাসী এবং গুরুদের মনোযোগ এবং করুণার স্থানগুলি ব্যতিক্রমীভাবে কেন্দ্রীভূত। এটি মস্তিষ্কের সম্মুখভাগের লবের ফলাফল (নিউবার্গ, ২০০৯)। নিউবার্গ বিশ্বাস করেন যে অনুশীলনের মাধ্যমে যে কেউ অতিপ্রাকৃতের সাথে সংযোগ স্থাপন করতে পারেন। ধর্মীয় সম্পৃক্ততা নেই এমন ব্যক্তিরাও অধিবিদ্যার সাথে সংযোগ থেকে উপকৃত হন। নিউবার্গের গবেষণা প্রার্থনা এবং ধ্যান এবং স্বাস্থ্যের মধ্যে সংযোগ প্রদান করে। ধর্মীয় অভিজ্ঞতা এবং অনুশীলনের সময় মস্তিষ্ক কীভাবে কাজ করে তা বোঝার মাধ্যমে নিউবার্গের গবেষণা দেখায় যে এই অনুশীলনের সময় মস্তিষ্ক পরিবর্তিত হয় এবং ধর্ম কীভাবে মানসিক এবং শারীরিক স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করে তা বোঝার সুযোগ দেয় (২০০৯)। উদাহরণস্বরূপ, ধ্যানের সময় মস্তিষ্কের কার্যকলাপ নির্দেশ করে যে যারা ঘন ঘন প্রার্থনা বা ধ্যান অনুশীলন করেন তারা নিম্ন রক্তচাপ, নিম্ন হৃদস্পন্দন, হ্রাস উদ্বেগ এবং হ্রাস হতাশা অনুভব করেন। (উইকিপিডিয়া)
==চিন্তার স্থানান্তর==
প্রার্থনা হলো ঈশ্বর অথবা যীশু, বুদ্ধ বা কৃষ্ণের মতো জ্ঞানী গুরুকে চিন্তার প্রেরণ। একজন জ্ঞানী সত্তা চিন্তাভাবনা গ্রহণ করেন এবং সেগুলিতে প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারেন। এটি শক্তি, প্রেম, শান্তি এবং প্রশান্তি বা সহায়ক চিন্তাভাবনার মতো শক্তি প্রেরণের মাধ্যমে ঘটে। কখনও কখনও এটি অলৌকিক ঘটনা, আরোগ্য, বাইরের জগতের পরিবর্তনের মতো শারীরিক প্রকাশের মাধ্যমে ঘটে। এমন কিছু অলৌকিক ঘটনা রয়েছে যা বিজ্ঞান প্রমাণ করতে পারে না। লর্ডসের অনেক আরোগ্যের মাধ্যমে এটি দেখানো যেতে পারে। একই সাথে, এটিও দেখানো হয়েছে যে খুব কম আরোগ্যকারী অলৌকিক ঘটনাই ঘটে।
প্রার্থনার প্রভাব আধ্যাত্মিক শক্তির মাধ্যমে প্রকাশ করা যেতে পারে। আধ্যাত্মিক অনুশীলন এই শক্তিকে জাগ্রত করতে পারে। ঈশ্বরের কৃপায় অথবা অত্যন্ত উন্নত আধ্যাত্মিক ব্যক্তিদের কাছ থেকে কেউ এই শক্তি পেতে পারে। এই শক্তি অন্যদের দেওয়া যেতে পারে। এটি যাচাই করা যেতে পারে। অন্যদের জিজ্ঞাসা করা যেতে পারে যে তারা কিছু অনুভব করেছে বা অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে কিনা, এবং আধ্যাত্মিক ব্যক্তিদের কাছ থেকে সেই শক্তি পেয়ে কেউ নিজের জন্য তা অনুভব করতে পারে।
প্রধানত, আপনি আপনার অনুভূতি এবং চিন্তাভাবনার মাধ্যমে আধ্যাত্মিক শক্তির প্রভাব অনুভব করেন। আপনি অন্য মানুষের সাথে সংযোগ স্থাপন করতে পারেন। আপনি হৃদয়চক্রের মধ্যে অন্য ব্যক্তির ভালোবাসা অনুভব করতে পারেন। আপনি দ্বিতীয় চক্রের মধ্যে শক্তি অনুভব করতে পারেন। আধ্যাত্মিক পথে আপনি কিছু বাস্তবতা অনুভব করেন। আপনি দেখতে পাবেন যে আপনার ক্ষমতা আছে। আপনি মানুষকে জিজ্ঞাসা করে এটি প্রমাণ করতে পারেন। বিজ্ঞান প্রমাণ করেছে যে চিন্তাভাবনা স্থানান্তর করা সম্ভব। শক্তি স্থানান্তর এবং চিন্তাভাবনা স্থানান্তর ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত। চিন্তাভাবনা স্থানান্তর কেবল এক ধরণের শক্তি স্থানান্তর।
==আলোচনা==
(Jesus.de থেকে উদ্ধৃতি, ফেব্রুয়ারি ২০১৩)
প্লুয়েশমোরস: মানুষ প্রার্থনাকে বিভিন্নভাবে সংজ্ঞায়িত করে এবং অনুশীলন করে। আমার কাছে, প্রার্থনা হল ঈশ্বরের সাথে, আমার নিঃশ্বাসের সাথে এবং আমার জীবনের উদ্দেশ্যের সাথে যোগাযোগ করা। মার্টিন লুথার একবার বলেছেন, "প্রার্থনা ছাড়া একজন খ্রিস্টান খুঁজে পাওয়া খুব কমই সম্ভব, ঠিক যেমন নাড়ি ছাড়া একজন জীবিত ব্যক্তি খুঁজে পাওয়া খুব কমই সম্ভব।"
ক্যারো: আমি প্রার্থনা করি। এটা এমন একটা জিনিস যা ছাড়া আমি আমার জীবন কল্পনাও করতে পারি না। প্রার্থনা ছাড়া কি আমি আর কখনও সুস্থ বা সফল হতে পারব? আমার কোন ধারণা নেই। যদিও আমি এইসব কারণে প্রার্থনা করি না, আমি ভালোবাসা থেকে প্রার্থনা করি। ভালোবাসা থেকে প্রার্থনা করা আমাকে খুশি করে।
নিলস: দুঃখের বিষয় হল, গবেষণা দেখায় যে আপনি যদি অন্যদের জন্য প্রার্থনা করেন তবে তা সাহায্য করে না। তবে, এই গবেষণাগুলি বেশ সাধারণ। আধ্যাত্মিকভাবে উন্নত ব্যক্তিদের গবেষণা করা উচিত। উদাহরণস্বরূপ, আপনি দেখতে পাবেন যে দীর্ঘদিন ধরে কর্মজীবনে থাকা যোগ শিক্ষকরা তাদের দলের লোকদের নিরাময়ে সাহায্য করতে পারেন। আমেরিকায় লোকেরা ইতিমধ্যে এটি হাসপাতালে ব্যবহার করছে। এই নিরাময় প্রভাবগুলি কীভাবে ঘটে তা ব্যাখ্যা করা যায় না। আমি এটিকে উচ্চতর ক্ষমতার জন্য দায়ী করব। আমি আমার দলগুলিতে এটি লক্ষ্য করি। যোগ এবং বৌদ্ধধর্মে এমন লোক রয়েছে যারা প্রার্থনা করে এবং যারা প্রার্থনা করে না। এটি একটি অত্যন্ত বিতর্কিত প্রশ্ন। আমি নিজের মধ্যে লক্ষ্য করি যে আমার পথে এগিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে বিশেষ ক্ষমতা বিকাশ লাভ করে। আমি অন্যদের শক্তি অনুভব করতে পারি, আংশিকভাবে তাদের চিন্তাভাবনা পড়তে পারি এবং দূর থেকে তাদের অনুভূতি অনুভব করতে পারি; আমি মনে করি যে আমিও মানুষকে নিরাময়ে সাহায্য করতে পারি। আমি কেবল লোকেদের জিজ্ঞাসা করে এটি পরীক্ষা করেছি।
তাছাড়া কেউ বলতে পারে যে ঈশ্বর বস্তুগত স্তরের বাইরে আছেন, এবং এর মধ্যেও আছেন, এবং তিনি কাকতালীয়ভাবে কাজ করতে পারেন। এটি প্রমাণ করা যায় না, তবে সাহায্য আপনার কাছে আসে। আমি মনে করি আমার জীবন ঈশ্বর দ্বারা পরিচালিত। আমি আমার জীবনে এমন কাকতালীয় ঘটনা লক্ষ্য করি যা এখন আর দুর্ঘটনা বলে মনে হয় না। তবে জ্ঞান এবং কল্পনার মধ্যে একটি সূক্ষ্ম রেখা রয়েছে। নিশ্চিত যে, জ্ঞানের অস্তিত্ব রয়েছে এবং প্রার্থনা হল এক ধরণের মন্ত্র যা আধ্যাত্মিক পথে সাহায্য করে। এটি অনুভূতিগুলিকে শান্ত করে, অভ্যন্তরীণ শান্তি সৃষ্টি করে এবং অভ্যন্তরীণ আনন্দ বয়ে আনতে পারে। বাকি সবকিছু বিশ্বাসের বিষয়। আমি আমার দলের লোকদের সিদ্ধান্ত নিতে দিই যে তারা প্রার্থনা করতে চান কিনা।
==নিরাময় ধ্যান==
[[File:Feodorovskaya ikona so skazaniem.jpg|thumb|300px]]
আমরা বসে বা শুয়ে বিশ্রাম নেই।
১. সূর্য = আমরা নিজেদের উপরে একটি সুন্দর সূর্য কল্পনা করি, মাথার উচ্চতায় দুই হাত উঁচু করে "সূর্য" মন্ত্রটি কয়েকবার মনে উচ্চারিত করি। আমরা সূর্যের আলো আমাদের ওপর পড়তে দিই এবং শরীরের ওপর মালিশ করি।
২. পৃথিবী = আমরা আমাদের নিচের পৃথিবীকে কল্পনা করি, আমাদের পা দিয়ে পৃথিবীকে স্পর্শ করি এবং ভাবি: "আমি পৃথিবীতে আলো পাঠাই। পৃথিবীর সকল প্রাণী সুখী হোক।"
৩. নিরাময় ম্যাসাজ = আমরা মনোনিবেশ করি যে শরীরের কোন অংশে এই মুহূর্তে নিরাময় প্রয়োজন। আমরা আলো প্রবাহিত হতে অনুমতি দিই, বৃত্তাকারে ম্যাসাজ করি এবং "আলো" শব্দটিকে একটি মন্ত্র হিসেবে মনে করি। হালকা ম্যাসাজের মাধ্যমে আমরা শরীরের নির্দিষ্ট অংশের উত্তেজনা দূর করি এবং এটিকে স্ব-নিরাময়ে সক্ষম করি। আমরা আলোকে এমন একটি রঙে কল্পনা করতে পারি যা আমাদের মনে হয় যে এটি আমাদের নিরাময় করে। আমরা রঙের নামটিকে একটি মন্ত্র হিসেবে মনে করি। আমরা ক্রমাগত শরীরের বিভিন্ন অংশে নিরাময়ের আলো ছড়াতে থাকি, সর্বদা "আলো" মন্ত্রটি মনে করি।
৪. মহাবিশ্ব = আমরা আমাদের চারপাশের নক্ষত্রে ভরা মহাবিশ্বের কল্পনা করি, আমাদের বাহু দিয়ে বড় বৃত্ত তৈরি করি এবং ভাবি, "ওম মহাবিশ্ব। আমি আমার জীবনের দুঃখ-কষ্ট গ্রহণ করি। আমি ধারাবাহিকভাবে আমার স্বাস্থ্য এবং আরোগ্যের পথে চলি।"
৫. আরোগ্যের কর্তা = আমরা আমাদের সামনে বা উপরে আরোগ্যের কর্তা (ঈশ্বর, যীশু, মা মেরি) কে কল্পনা করি। আমরা হৃদয়চক্রের সামনে হাত ঘষি এবং ভাবি, "প্রিয় ঈশ্বর (যীশু, মা মেরি)। ওম, অন্তরের জ্ঞান। দয়া করে আমাকে পথ দেখান এবং আমার পথে সাহায্য করুন।"
৬. আরোগ্যের প্রশ্ন = আমরা আমাদের শরীরের এমন একটি অংশে মনোযোগ দিই যার আরোগ্যের প্রয়োজন অথবা ব্যক্তিগত সমস্যার উপর। আমাদের আরোগ্যের উপায় কী? আমাদের কী করতে হবে? আমাদের সমস্যা কী? এসব নিয়ে আমরা চিন্তিত থাকি। আমরা ফলাফলে সন্তুষ্ট না হওয়া পর্যন্ত চিন্তা করি। যখন কোনও উত্তর পাই না, তখন হয় আমরা ভেতরে আটকে থাকি (সমস্যার আসল কারণ দেখতে চাই না), অথবা আমাদের ভেতরের কণ্ঠস্বরের সঙ্গে খারাপ যোগাযোগ থাকে (নিজেকে সঠিকভাবে বুঝতে পারি না)। তখন সবচেয়ে ভালো উপায় হল ধীরে ধীরে সমস্যা সম্পর্কে চিন্তাভাবনা করা।
৭. অসুস্থ মানুষ = আমরা হাত নাড়ানো ছাড়াই সকল মানুষকে আলো দিয়ে আশীর্বাদ করি এবং ভাবি, "আমার মতো একই সমস্যায় ভুগছেন সকল মানুষ সুস্থ হোক। আমার সমস্যা হল... আরোগ্যের উপায় হল..."
৮. আমীন = আমরা "আমীন" বলার সময় শ্বাস-প্রশ্বাসের প্রতি মনোনিবেশ করি। আমরা অন্যান্য সকল চিন্তা বন্ধ করি। আমরা আমাদের মধ্যে প্রশান্তি এবং শান্তি অনুভব করি। আমরা প্রতিটি চিন্তাকে এক মিনিট থামাই এবং আস্তে আস্তে আমাদের পা নাড়াই। আমরা আমাদের পায়ের ওপর মনোযোগ দিই এবং এগিয়ে যাই, যতক্ষণ না আমাদের মন সম্পূর্ণরূপে বিশ্রাম নেয়। তারপর সামান্য ধ্যান অবস্থায় থাকি। সমস্ত চিন্তা এবং অনুভূতি তাদের ইচ্ছামতো আসতে পারে এবং যেতে পারে। আমরা শরীর ও মন শিথিল করি।
==প্রভুর প্রার্থনা==
[[File:Fridolin Leiber - Pater noster.jpg|thumb|300px]]
এই চিত্রটি আমাদেরকে প্রভুর প্রার্থনা (খ্রিস্টীয় মূল মন্ত্র) কে দৃশ্যায়নের মাধ্যমে সংযুক্ত করার নির্দেশ দেয়, যার ফলে আধ্যাত্মিক প্রভাব উল্লেখযোগ্যভাবে শক্তিশালী হয়। একটি শক্তিশালী প্রভাব অর্জনের জন্য, আমাদের প্রার্থনাটি আমাদের জন্য সবচেয়ে উপযুক্তভাবে বলা বা মনে করা উচিত। আমাদের চিত্রগুলো এমনভাবে ব্যাখ্যা করা উচিত যাতে সেগুলো আমাদের জন্য সহায়ক হয়। আমরা প্রভুর প্রার্থনার বাক্যগুলো আমাদের নিজস্ব ভাষায় রূপান্তর করতে পারি। এতে প্রার্থনার শক্তির সঙ্গে আরও ভালো সংযোগ স্থাপন সম্ভব হয়। প্যাটার নস্টার প্রার্থনাটি আটটি অংশে বিভক্ত।
১. আমাদের স্বর্গস্থ পিতা,
(আমরা মুকুট চক্রের উপরে ব্যক্তিগতভাবে ঈশ্বরকে কল্পনা করি।)
২. তোমার নাম পবিত্র হোক,
(আমরা মাঝে মাঝে ‘ঈশ্বর’ শব্দটি মনে করি যতক্ষণ পর্যন্ত আমরা ঈশ্বরের শক্তির সংস্পর্শে আসি।)
৩. তোমার রাজ্য আসুক,
(আমরা ঈশ্বরের রাজ্যে নিজেদের কল্পনা করি, যেখানে আমরা আমাদের জগতের ইতিবাচক দিকগুলো দেখতে পাই।)
৪. তোমার ইচ্ছা যেমন স্বর্গে তেমনি পৃথিবীতেও পূর্ণ হোক।
(আমরা আমাদের জীবনের সবকিছুকে যেমন আছে তেমনই গ্রহণ করি।)
৫. আজ আমাদের প্রতিদিনের রুটি দাও।
(আমরা আমাদের জীবনের প্রতিটি বিষয়ের জন্য কৃতজ্ঞ।)
৬. আমাদের পাপ ক্ষমা করো, যেমন আমরা আমাদের বিরুদ্ধে পাপকারীদের ক্ষমা করি।
(আপনি কি অন্য কাউকে ক্ষমা করতে চান, বা ঈশ্বরের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন?)
৭. আমাদের পরীক্ষার সময় থেকে রক্ষা করো এবং মন্দ থেকে উদ্ধার করো।
(আজ আপনি কি মিথ্যা ইচ্ছাগুলো ত্যাগ করতে চান?)
৮. কারণ রাজ্য, পরাক্রম এবং গৌরব এখন এবং চিরকাল তোমার। আমিন।
(আপনার আধ্যাত্মিক আদর্শের শক্তি ও আলো আপনার মধ্যে প্রবাহিত হচ্ছে এবং আপনাকে পূর্ণ করছে তা অনুভব করুন। যতক্ষণ না আপনি যীশু বা ঈশ্বরের শক্তির সঙ্গে একাত্ম হন, ততক্ষণ ‘আমিন’ মনে করুন। এক হাত নাড়িয়ে পৃথিবীর সমস্ত প্রাণীর কাছে ‘আমিন’ মন্ত্রসহ আলো পাঠান। তখন আপনি সম্পূর্ণরূপে আলোতে আবৃত হবেন।)
==বহিঃসংযোগ==
{{wikipedia|প্রার্থনা}}
{{BookCat}}
lp8baey7eqljlciu8852m9wxxzb0uh1
সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/মানব বাস্তুসংস্থান ও পরিবেশ
0
22841
85810
85733
2025-07-07T22:59:46Z
NusJaS
8394
/* প্রস্তাবিত পঠন */
85810
wikitext
text/x-wiki
{{TODO|অনেক কিছু! এই অধ্যায়টি এখনও সম্পূর্ণ নয়। অনুগ্রহ করে আপনার পরামর্শ দিতে দ্বিধা করবেন না।}}
এই পৃষ্ঠাটি বর্তমানে নির্মাণাধীন। আপাতত, নিচের উইকিপিডিয়া নিবন্ধগুলো পড়ুন:
* [[Wikipedia:urban sociology|শহুরে সমাজবিজ্ঞান]]
* [[Wikipedia:rural sociology|গ্রামীণ সমাজবিজ্ঞান]]
* [[Wikipedia:ecology|পরিবেশবিদ্যা]]
==মানব প্রভাব পরিবেশের উপর==
গ্লোবাল ওয়ার্মিং বিভিন্ন কারণে একটি বড় উদ্বেগের বিষয়। এটি পরিবেশের এমন কিছু উপাদানকেও প্রভাবিত করবে, যা সাধারণত আমরা বিবেচনা করি না। উদাহরণস্বরূপ, গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের ফলে তাপমাত্রা এবং CO2 স্তর বৃদ্ধি পাবে, যা সাধারণত আগাছা হিসেবে বিবেচিত উদ্ভিদের দ্রুত এবং ব্যাপক বৃদ্ধি ঘটাবে।<ref name="Christopher2008">Christopher, Tom. 2008. “Can Weeds Help Solve the Climate Crisis?.” The New York Times, June 29 http://www.nytimes.com/2008/06/29/magazine/29weeds-t.html (Accessed February 11, 2010).</ref> কিছু গাছকে "অপ্রয়োজনীয় আগাছা" বলা একটি সম্পূর্ণ ব্যক্তি নির্ভর ভাবনা। এটি সামাজিক নির্মাণবাদের একটি ভালো উদাহরণ। আমরা নিজেরাই "আগাছা" নামক ধারণাটি তৈরি করি। যে গাছগুলো আমরা নির্দিষ্ট কোনো স্থানে চাই না, সেগুলোকে এই শ্রেণিতে ফেলি।আরও একটি বিষয় হলো, আগাছা নিয়ে কাজ করা বিজ্ঞানীরা ভালো করেই জানেন—মানুষ যেভাবে আগাছা দমন করার চেষ্টা করে, সেগুলোর সঙ্গে তাল মিলিয়ে আগাছাগুলোও ধীরে ধীরে পরিবর্তিত হয়। এই কারণে, অনেক গাছ যেগুলোকে আমরা সাধারণত আগাছা হিসেবে দেখি, সেগুলো এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। মানুষ যখন থেকে এগুলোকে নির্মূল করতে চেয়েছে, তখন থেকেই এদের টিকে থাকার ক্ষমতাও বেড়েছে। ।<ref name="Christopher2008"/>
অনেকে ভাবতে পারেন, বিশ্বের সবচেয়ে বড় পরিবেশ দূষণকারী এবং বৈশ্বিক উষ্ণায়নের অন্যতম প্রধান উৎস হওয়া সত্ত্বেও, যুক্তরাষ্ট্র কেন খুব একটা কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে না—যদিও সরকার নিজেই জানে যে তারা এতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
এর পেছনে রাজনীতি ও লোভ কাজ করছে—এমন কিছু প্রমাণ রয়েছে।[1] যেসব অঙ্গরাজ্যে প্রচুর পরিমাণে কয়লা মজুত আছে, সেখানকার সিনেটররা জলবায়ু-বান্ধব আইন প্রস্তাবের বিরুদ্ধে ভোট দেওয়ার প্রবণতা অন্য রাজ্যের সিনেটরদের চেয়ে অনেক বেশি। যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক প্রচারণাগুলো মূলত দানের ওপর নির্ভর করে চলে। এসব দানের বড় অংশ আসে বড় বড় কোম্পানি ও তাদের কর্মীদের কাছ থেকে।
ফলে কয়লা উত্তোলনকারী বড় কোম্পানিগুলোর লাভের অংশ একরকম রাজনৈতিক প্রভাব হিসেবে কাজ করে। এর ফলে, তারা জলবায়ু সুরক্ষা সংক্রান্ত নীতির বিরোধিতা করে।[1] এইভাবে বলা যায়, স্বল্পমেয়াদী আর্থিক লাভের লোভ দীর্ঘমেয়াদি জলবায়ু ধ্বংসের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণে যুক্তরাষ্ট্রকে পিছিয়ে রাখছে।
আরেকটি বড় কারণ হলো—মানুষের মনস্তত্ত্ব।[2] মানুষ সাধারণত এমন ধরনের ঝুঁকি নিয়ে বেশি ভাবেন, যেখানে সহজে কাউকে দায়ী করা যায়। কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনের দায় পুরো মানবজাতির ওপর ছড়িয়ে আছে। তাই একজন নির্দিষ্ট অপরাধীকে চিহ্নিত করা কঠিন।
এছাড়া, মানুষ সাধারণত যেসব হুমকি তাৎক্ষণিক এবং চোখে দেখা যায়, সেগুলো নিয়ে বেশি চিন্তা করে। কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব অনেকের জন্যই তাৎক্ষণিক নয়, চোখে পড়েও না। তাই মানুষ সেটাকে গুরুত্ব দিয়ে দেখে না।
==পরিবেশের প্রভাব মানুষের উপর==
যেমন মানুষ পরিবেশকে প্রভাবিত করে, তেমনি পরিবেশও মানুষের আচরণকে প্রভাবিত করে। উদাহরণস্বরূপ, "অস্বস্তিকর" আবহাওয়া - যেমন খুব গরম, আর্দ্র, ভেজা বা ঠান্ডা আবহাওয়া - মানুষ কাকে ফোন করে এবং কতক্ষণ কথা বলে, তা পরিবর্তন করে।<ref name="Phithakkitnukoon2012">Phithakkitnukoon, S., Leong, T. W., Smoreda, Z., & Olivier, P. (2012). Weather Effects on Mobile Social Interactions: A Case Study of Mobile Phone Users in Lisbon, Portugal. PLoS ONE, 7(10), e45745. doi:10.1371/journal.pone.0045745</ref> খারাপ আবহাওয়ার সময় মানুষ ঘনিষ্ঠ পরিবার ও বন্ধুদের সাথে বেশি সময় কথা বলে।
==টেকসইতার সামাজিক মনোবিজ্ঞান==
===টেকসই জীবনযাপন সক্ষম করা===
====দক্ষতা ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি====
সমস্ত মানবজীবনের ভবিষ্যৎ টিকিয়ে রাখতে হলে আমাদের প্রযুক্তির সীমা ছাড়িয়ে এগোতে হবে। গাড়িগুলো এখন অনেক বেশি জ্বালানি সাশ্রয়ী এবং দূষণও অনেক কম করে। এখন নথিপত্র ডিজিটালি সংরক্ষণ, কপি, পাঠানো এবং তৈরি করা যায়। ফটোকপিয়ার মেশিন ভুলে যান—রাইট ক্লিক করুন, কপি করুন, তারপর পেস্ট করুন। গৃহস্থালির যন্ত্রপাতি, লাইট বাল্ব, মহাসড়ক, ভবন, এবং ওষুধ—সব ক্ষেত্রেই প্রযুক্তিগত অগ্রগতি ভবিষ্যতের পথে আমাদের এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। কে জানতো, ২১শ শতক সময়ের এতটা আগেই এগিয়ে যাবে?
====ভোগ হ্রাস====
ভবিষ্যৎ জীবন টিকিয়ে রাখতে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হলো ভোগ হ্রাস করা। মানুষ যদি শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে পৃথিবীতে বসবাস করতে চায়, তাহলে কম খরচ ও কম দূষণের ক্ষমতা অর্জন করতে হবে। বিশ্বজুড়ে শিক্ষিত ও কর্মজীবী নারীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় জন্মহার ক্রমাগত কমছে। তবুও, পৃথিবী তার সর্বোচ্চ ধারণক্ষমতায় পৌঁছে গেছে। অনেক দেশ ভোগ কমানোর চেষ্টা করেছে, কিন্তু অনেকেই হয় হাল ছেড়ে দিয়েছে, নয়তো ইতিবাচক ফলাফল এখনো দেখতে পায়নি। যারা পুনর্ব্যবহার করে, একসঙ্গে গাড়ি চড়ে, গণপরিবহন ব্যবহার করে, বা পরিবেশবান্ধব যন্ত্রপাতি দিয়ে ঘর চালায়—তাদের পুরস্কৃত করা যেতে পারে।
অন্যদিকে, যারা অতিরিক্ত সম্পদ ব্যবহার করে, তাদের শাস্তি দিতে হবে। যারা আলাদা আলাদা গাড়ি চালায়—তাদের জরিমানা, টিকিট বা কর আরোপ করা যেতে পারে। যারা দিন-রাত ঘরের আলো জ্বালিয়ে রাখে, যারা বিশাল SUV চালিয়ে তিনশো মাইল ভ্রমণ করে, এবং যারা প্রতিটি আবর্জনা ফেলে দেয়, পুনর্ব্যবহার করে না—তাদেরও শাস্তির আওতায় আনতে হবে। অর্থনীতিবিদ রবার্ট ফ্র্যাঙ্ক,{{ref|Frank1999}} যিনি সামাজিক মনোবিজ্ঞানেও পারদর্শী, তিনি দেখিয়েছেন কিভাবে একটি সামাজিকভাবে দায়িত্বশীল বাজার অর্থনীতি অর্জনকে পুরস্কৃত করেও টেকসই ভোগের পথে এগিয়ে যেতে পারে।
মজার বিষয় হলো, আমেরিকানরা সংরক্ষণ ও ভোগ হ্রাসের পক্ষে থাকলেও, অনেকে নিজের কথার সাথে কাজ মিলিয়ে চলেন না।<ref name="Leiserowitz">Leiserowitz, A. (in press) “Climate change risk perceptions and behavior in the United States,” in S. Schneider, A. Rosencranz, and M. Mastrandrea, eds. Climate Change Science and Policy. Island Press.</ref> উদাহরণস্বরূপ, ৮৮% আমেরিকান মনে করেন পুনর্ব্যবহার গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু মাত্র ৫১% নিয়মিত বা প্রায়ই তা করেন।<ref name="Leiserowitz"/> পরিবেশ সম্পর্কে মনোভাব বদলানো সহজ, কিন্তু আচরণ বদলানো অনেক কঠিন।
===বস্তুবাদ ও সম্পদের সামাজিক মনোবিজ্ঞান===
====বস্তুবাদের বৃদ্ধি====
যুক্তরাষ্ট্রে বস্তুবাদ সবচেয়ে বেশি চোখে পড়ে। একটি গ্যালাপ জরিপ অনুযায়ী,{{ref|Gallup1990}} প্রতি দুই নারীর একজন, প্রতি তিন পুরুষের দুইজন, এবং প্রতি পাঁচজনের মধ্যে চারজন যাদের বার্ষিক আয় $৭৫,০০০-এর বেশি, তারা ধনী হতে চান। আরও বেশি মানুষ এখন অর্থসম্পদ অর্জনের দিকে মনোযোগ দিচ্ছেন, অর্থবহ জীবন যাপনের চেয়ে।
====সম্পদ ও মঙ্গল====
অর্থ দিয়ে কি সুখ কেনা যায়? নাকি অন্তত মানসিক শান্তি? দুঃখজনকভাবে, না। অর্থ এবং মানসিক শান্তির মধ্যে খুব কম বা কোনো সম্পর্কই নেই। গবেষণায় দেখা গেছে, একজন ব্যক্তি কতটা ধনী তা তেমন একটা প্রভাব ফেলে না তার মঙ্গল বা ভালো থাকার ওপর। তবে গরিব দেশে, যেখানে নিম্ন আয় মৌলিক চাহিদা পূরণে বাধা, সেখানে তুলনামূলকভাবে সচ্ছল হওয়া বেশি মঙ্গলজনক হতে পারে।{{ref|Argyle1999}}
কিন্তু যখন কেউ ধনী হয়ে ওঠে, তখন যে আনন্দ বা সুখ আসে তা খুব অল্প সময়েই হারিয়ে যায়। এরপর সেই মানুষকে আরও অর্থ আর সম্পদ প্রয়োজন হয় ভালো থাকার অনুভূতি বজায় রাখতে। ডেভিড লাইকেন অনুযায়ী,{{ref|Lykken1999}} "যারা বাসে করে ওভারঅল পরে কাজ করতে যায়, তারা গড়ে ঠিক ততটাই সুখী, যতটা সেই লোকেরা যারা স্যুট পরে নিজের মার্সিডিজ চালিয়ে কাজ করতে যায়" (পৃষ্ঠা ১৭)। এমনকি ফোর্বসের তালিকাভুক্ত ১০০ জন সবচেয়ে ধনী আমেরিকানও গড় মানের তুলনায় সামান্য বেশি সুখী।{{ref|Diener1985}}
====বস্তুবাদ কেন সন্তুষ্টি দিতে ব্যর্থ====
যারা জীবনের সব কিছু অর্জন করতে চায়, বস্তুবাদ তাদের মনোঃসন্তুষ্টি দিতে পারে না। যারা ক্ষমতা, টাকা ও সম্পদের পেছনে ছুটে, তারা অনেক নিচু মানের মঙ্গলবোধ নিয়ে বাঁচে। যারা ব্যক্তিগত বিকাশ, জ্ঞান, ও প্রজ্ঞার জন্য চেষ্টা করে, তারা অনেক বেশি শান্তিতে থাকে। বস্তুবাদের মাধ্যমে মানসিক শান্তি পাওয়ার চেষ্টা করলে তা ব্যর্থ হয়।
অনেক কিছু, যা এক সময় বিলাসিতা ছিল, এখন প্রয়োজনীয় মনে হয়। এই বিলাসিতার ভিত্তিতে একজন মানুষ তার সুখ পরিমাপ করে। পরে, যখন সবাই সেই জিনিস পেয়ে যায়, তখন ওই ব্যক্তি আবার এমন কিছু চায় যা অন্য কারো নেই। এভাবেই সেই চক্র চলতেই থাকে। বস্তুবাদী মানুষ সব সময় আরও বেশি কিছু চায়, শান্তি পাওয়ার জন্য।
===টেকসইতা ও বেঁচে থাকার দিকে===
আমাদের সমাজকে বস্তুবাদের হাত থেকে মুক্ত করতে হলে, টেকসই জীবনের পথে চলতে হবে। এমন আইন ও প্রোগ্রাম চালু করতে হবে যা ভোগ হ্রাস করবে, প্রযুক্তি উন্নত করবে, দক্ষতায় জোর দেবে, বুঝবে যে সম্পদ ও মানসিক শান্তির মধ্যে কোনো যোগ নেই, এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটাবে।
মানুষকে একজোট হয়ে বিশ্বের ঘটনাগুলোর দিকে মনোযোগ দিতে হবে, শুধু নিজেদের নিয়ে ভাবলে চলবে না। সামাজিক মনোবিজ্ঞান অধ্যয়নের মাধ্যমে বিশ্ব নিজেকে উন্নত করতে পারে, টিকিয়ে রাখতে পারে পৃথিবী ও মানবজাতিকে। মানুষ যত দ্রুত বুঝবে বস্তুবাদে সত্যিকারের শান্তি নেই, তত দ্রুত এই পৃথিবী একটি ভালো জায়গা হয়ে উঠবে।
==প্রস্তাবিত পঠন==
''দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস'' টেনেসির একটি বড় দুর্ঘটনার পর, আলাবামার [[w:পেরি কাউন্টি|পেরি কাউন্টি]]তে [[w:কয়লা ছাই|কয়লা ছাই]] সংরক্ষণের বিষয়ে সম্প্রতি একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে<ref name="Dewan2009">Dewan, Shaila. 2009. “Clash in Alabama Over Tennessee Coal Ash.” The New York Times, August 30 http://www.nytimes.com/2009/08/30/us/30ash.html?partner=rss&emc=rss (Accessed August 30, 2009).</ref>। পেরি কাউন্টির প্রায় ৭০% মানুষ কৃষ্ণাঙ্গ। এটি একটি দরিদ্র এলাকা। তাই এই সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে—এটি পরিবেশগত বর্ণবাদের উদাহরণ কি না। কিছু মানুষ বলছে, এই সিদ্ধান্ত আসলে বর্ণবাদেরই প্রতিফলন। আবার অন্যরা যুক্তি দিচ্ছে, এই সিদ্ধান্তের ফলে যেসব আর্থিক সুবিধা এলাকাবাসী পাবে, সেগুলোকেও গুরুত্ব দিতে হবে।
==তথ্যসূত্র==
{{reflist}}
# {{note|Frank1999}} Frank, R. (1999). Luxury fever: Why money fails to satisfy in an era of excess. New York: Free Press.
# {{note|Gallup1990}} Gallup Poll. (1990, July). Reported by G. Gallup, Jr., & F. Newport, Americans widely disagree on what constitutes “rich.” Gallup Poll Monthly, pp. 28-36.
# {{note|Argyle1999}} Argyle, M. (1999). Causes and correlates of happiness. In D. Kahneman, E. Diener, & N. Schwartz (Eds.), Foundations of hedonic psychology: Scientific perspectives on enjoyment and suffering. New York: Russell Sage Foundation.
# {{note|Lykken1999}} Lykken, D.T. (1999). Happiness. New York: Golden Books.
# {{note|Diener1985}} Diener, E., Horowistz, J., & Emmons, R.A. (1985). Happiness of the very wealthy. Social Indicators, 16, 263-274.
{{BookCat}}
d8cypbxt48g7rid0naze2fqe4eyoftd
সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/যৌনতা
0
22868
85791
85745
2025-07-07T11:59:26Z
Tahmid
4464
85791
wikitext
text/x-wiki
{{TODO|ভবিষ্যতের অধ্যায়সমূহ অনুযায়ী সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি অনুচ্ছেদের বিষয়বস্তু এখনো সম্পূর্ণ হয়নি।}}
'''নির্মাণাধীন'''
'''মানব যৌনতা''' হল মানুষ কীভাবে যৌন উত্তেজনা অনুভব করে এবং তারা কীভাবে নিজেদের যৌনসত্তা হিসেবে প্রকাশ করে।<ref name="Rathus2007">Rathus, Spencer A., Jeffrey S. Nevid, and Lois Fichner-Rathus. 2007. Human Sexuality in a World of Diversity. Allyn & Bacon.</ref> মানব যৌনতার অনেক দিক রয়েছে।
[[w:en:Biology|জৈবিকভাবে]], যৌনতা বোঝায় প্রজনন প্রক্রিয়া এবং মৌলিক জৈবিক প্রণোদনাকে, যা সব প্রাণীর মধ্যে বিদ্যমান। এটি যৌন সহবাস ও যৌন সংস্পর্শের সব ধরনের আচরণ অন্তর্ভুক্ত করতে পারে।
যৌনতার আরও একটি দিক আছে, যা আবেগগত বা শারীরিক হতে পারে। এটি বোঝায় দুই ব্যক্তির মধ্যে সম্পর্ক বা বন্ধন, যা গভীর অনুভূতি বা আবেগের মাধ্যমে প্রকাশ পেতে পারে। আবার এটি যৌন আচরণের শারীরবৃত্তীয় বা মনোবৈজ্ঞানিক বিষয় নিয়ে চিকিৎসাবিদ্যার আলোচনারও অংশ হতে পারে। সমাজবিজ্ঞানের দৃষ্টিকোণ থেকে, যৌনতা সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ও আইনি বিষয়কে অন্তর্ভুক্ত করতে পারে। আর দর্শনের ক্ষেত্রে, এটি নৈতিকতা, আধ্যাত্মিকতা বা ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গি জড়িত করে।
সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, যৌনতা ব্যক্তিগত পরিচয় গঠনে এবং ব্যক্তির সামাজিক বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে:
<blockquote> “মানব যৌনতা শুধুমাত্র প্রবৃত্তি বা প্রাণীদের মতো অটোমেটিক আচরণ দ্বারা নির্ধারিত নয়, বরং এটি উচ্চতর মানসিক ক্রিয়া এবং সামাজিক, সাংস্কৃতিক, শিক্ষাগত ও নিয়মতান্ত্রিক বৈশিষ্ট্য দ্বারা প্রভাবিত হয়। এই বৈশিষ্ট্যগুলি নির্ধারণ করে, যে পরিবেশে ব্যক্তি বড় হয় এবং তার ব্যক্তিত্ব গঠিত হয়। সুতরাং যৌনতা বিশ্লেষণ করতে হলে আবেগ, অনুভূতি ও সম্পর্কের মতো একাধিক বিকাশধারার সংমিশ্রণকে গুরুত্ব দিতে হয়।”<ref name= Boccadoro >Boccadoro L., Carulli S. (2009) ''Il posto dell'amore negato. Sessualità e psicopatologie segrete'' ([http://www.sexology.it/abstract_english.html The place of the denied love. Sexuality and secret psychopathologies]). Tecnoprint Editrice, Ancona. <small>{{ISBN|978-88-95554-03-7}}</small> </ref> </blockquote>
অনেক ঐতিহাসিক যুগে, খুঁজে পাওয়া শিল্পকর্ম ও বস্তু সামগ্রী সেই সময়ের মানব যৌনতার ধারণা প্রকাশ করে।<ref name="Rathus2007"/>
==মানব যৌনতাকে প্রভাবিতকারী উপাদানসমূহ==
গর্ভাবস্থার সময় ভ্রূণের বিকাশে হরমোন পরিবর্তনের কারণে মানব যৌনতা প্রভাবিত হতে পারে। কেউ কেউ বলেন, যৌনতা প্রকাশের ধরন অনেকাংশে জিনগত প্রবণতার কারণে হয়ে থাকে। আবার কেউ বলেন, এটি প্রাথমিক জীবনের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার ওপর নির্ভর করে, যার মাধ্যমে পছন্দ গড়ে ওঠে। একটি মিশ্র মতামত হলো—এই দুই উপাদানই পারস্পরিকভাবে কাজ করে।
সমকামিতার ক্ষেত্রে জেনেটিক প্রভাবের বিরুদ্ধে একটি সাধারণ যুক্তি হলো, সমকামী পুরুষরা সাধারণত সন্তান উৎপাদন করে না। ফলে তাদের যৌন পরিচয়ে অবদান রাখা জিনগুলো উত্তরাধিকারসূত্রে ছড়ায় না। এই যুক্তির ফলে ধারণা করা হয়, এই জিনগুলো তাদের সঙ্গেই বিলুপ্ত হয়ে যায়।<ref name="Vasey2010">http://esciencenews.com/articles/2010/02/04/study.reveals.potential.evolutionary.role.same.sex.attraction</ref> তবে সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, সমকামিতা "[[w:Kin selection|কিন নির্বাচনের]]" বিবর্তনীয় মডেল অনুসরণ করতে পারে।
কিন নির্বাচনের মূল ধারণা হলো—কোনও ব্যক্তি হয়তো নিজের সন্তান জন্ম দিচ্ছে না, কিন্তু সে তার আত্মীয়দের সন্তান জন্ম ও লালনপালনে সহায়তা করছে। এর ফলে সে পরোক্ষভাবে নিজের জিনগুলোকে বংশপরম্পরায় চালিয়ে যাচ্ছে। একটি গবেষণায় দেখা গেছে, [[w:Samoa|সামোয়া]]র [[w:fa'afafine|ফা’আফাফিন]] নামের সমকামী পুরুষেরা, যারা সেখানে নারীর ও পুরুষের বাইরে একটি ভিন্ন লিঙ্গ পরিচয় হিসেবে বিবেচিত, তাদের নিকটাত্মীয়দের সন্তানদের জীবনে তারা আরও বেশি সক্রিয় ভূমিকা পালন করে, তুলনায় সাধারণ নারীমামা বা পুরুষখালাদের চেয়ে।<ref name="Vasey2010"/> এই গবেষণাটি কিন নির্বাচনের তত্ত্বকে সমর্থন করে এবং ব্যাখ্যা করে কেন সমকামীতা জেনেটিকভাবে থাকতে পারে, যদিও সমকামী ব্যক্তিরা তুলনামূলকভাবে কম সন্তানের জন্ম দেন।
মানব যৌনতা সামাজিক জীবনের অংশ হিসেবেও ব্যাখ্যা করা যায়, যেখানে আচরণের অঘোষিত নিয়ম এবং প্রচলিত রীতিনীতি প্রভাব ফেলে। অনেকেই বলেন, যৌনতা সামাজিক নিয়মকে প্রভাবিত করে, এবং সমাজও যৌনতা প্রকাশের ধরনকে নিয়ন্ত্রণ করে। গণমাধ্যম আবিষ্কারের পর যৌনতা আমাদের জীবনের পরিবেশকে আরও বেশি প্রভাবিত করেছে। এটি প্রায়ই স্টিরিওটাইপে পরিণত হয় এবং মুদ্রণ, অডিও ও চলচ্চিত্রের মাধ্যমে বাণিজ্যিকভাবে উপস্থাপিত হয়।
মানব যৌনতা এবং লিঙ্গ পরিচয় এক নয়। লিঙ্গ পরিচয় যৌন পরিচয়ের চেয়ে বিস্তৃত একটি ধারণা। শিশুকালে সামাজিক পরিবেশের প্রভাবে লিঙ্গ গঠিত হতে পারে। যেমন, একটি ছোট ছেলেকে খেলনার ট্রাক দেওয়া হয়, আর একটি মেয়েকে পুতুল। মানব শরীরবৃত্ত এবং এই লিঙ্গ গঠনের পদ্ধতি যৌন প্রকাশের কিছু ধরনকে সম্ভব করে তোলে, এমনকি কখনো তা প্রবণতাও সৃষ্টি করে। তবে ভবিষ্যতের যৌন আচরণ লিঙ্গ উপযুক্ত হবে কি না, তা নির্ধারণ করে না।
মানব যৌনতার সিদ্ধান্ত সাধারণত বর্তমান সংস্কৃতি ও সমাজের নিয়ম অনুযায়ী নেওয়া হয়। যেমন, কেউ কেউ বিয়ের আগে যৌন সম্পর্ক থেকে বিরত থাকে, কারণ তাদের ধর্ম এতে নিষেধ করে। আবার কিছু সংস্কৃতিতে একজন পুরুষ একাধিক স্ত্রী রাখতে পারেন, যেখানে অন্য সংস্কৃতিতে একাধিক বিবাহের প্রতি নেতিবাচক মনোভাব থাকে। যারা প্রচলিত যৌনতার বাইরে নিজেদের প্রকাশ করতে চান, তারা প্রায়ই মূল সংস্কৃতির ভেতরে উপ-সংস্কৃতি গঠন করেন।
==মানব যৌনতা সম্পর্কিত তত্ত্বসমূহ==
===সোশিওবায়োলজি===
সোশিওবায়োলজির দৃষ্টিকোণ থেকে একটি গবেষণায় দেখা গেছে, পুরুষদের মধ্যে "প্রতারণা" নিয়ে প্রতিক্রিয়ার পার্থক্য রয়েছে।<ref name="Confer2011">Confer, Jaime C., and Mark D. Cloud. 2011. “Sex differences in response to imagining a partner's heterosexual or homosexual affair.” Personality and Individual Differences 50:129-134.</ref> যদি তাদের নারী সঙ্গিনী কোনও পুরুষের সঙ্গে প্রতারণা করেন, তাহলে তারা সম্পর্ক চালিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা কম দেখায়, তুলনায় যদি সেই নারী একজন নারীর সঙ্গে প্রতারণা করেন।<ref name="Confer2011"/> এটি ইঙ্গিত করে, পুরুষদের কাছে প্রতারণার মূল বিষয়টি যৌনতা নয়, বরং পিতৃত্ব নিয়ে অনিশ্চয়তা; তারা চান না অন্য একজন পুরুষের সন্তানকে নিজেদের সন্তান ভেবে লালন-পালন করতে।<ref name="Confer2011"/>
==যৌনতা ও জীবনধারা==
===শৈশব===
===কিশোরাবস্থা===
সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, ককেশীয় মহিলাদের ২০ থেকে ৩০ শতাংশের মধ্যে [[w:premenstrual dysphoric disorder|প্রি-মেনস্ট্রুয়াল ডিসফোরিক ডিসঅর্ডার]] (PMDD; সাধারণভাবে পরিচিত [[w:PMS|PMS]]) হওয়ার একটি জেনেটিক প্রবণতা রয়েছে।<ref name="Spencer2010">Spencer, J. L., E. M. Waters, T. A. Milner, F. S. Lee, and B. S. McEwen. 2010. “BDNF variant Val66Met interacts with estrous cycle in the control of hippocampal function.” Proceedings of the National Academy of Sciences.</ref> যদিও গবেষণাটি ইঁদুরের উপর করা হয়েছিল, তবুও মানুষের এবং ইঁদুরের একই জিন রয়েছে। এই নির্দিষ্ট জিনবিশিষ্ট ইঁদুরেরা তাদের ইস্ট্রাস চক্রের (যা মানুষের ঋতুচক্রের সমতুল্য) নির্দিষ্ট সময়ে বেশি উত্তেজিত ও অনিরাপদ থাকে। তাদের স্মৃতিশক্তিও দুর্বল হয়ে পড়ে।<ref name="Spencer2010"/> এই গবেষণার ফলাফল থেকে বোঝা যায়, এই জিন বৈচিত্র্যসম্পন্ন নারীদের মধ্যে PMDD হওয়ার এটি একটি সম্ভাব্য কারণ হতে পারে।
কিছু গোষ্ঠী তরুণী নারীদের [[w:Human papillomavirus|হিউম্যান প্যাপিলোমাভাইরাস]]-এর বিরুদ্ধে টিকা দেওয়া নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তাদের বিশ্বাস, এই টিকা নেওয়ার ফলে HPV সংক্রমণের ভয় কমে যাওয়ায় তাদের যৌন কার্যকলাপ বেড়ে যেতে পারে। কিন্তু সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, HPV-এর বিরুদ্ধে টিকা দেওয়া যৌন আচরণে কোনো প্রভাব ফেলে না।<ref name="Bednarczyk2012">Bednarczyk, R. A., Davis, R., Ault, K., Orenstein, W., & Omer, S. B. (2012). Sexual Activity–Related Outcomes After Human Papillomavirus Vaccination of 11- to 12-Year-Olds. Pediatrics. doi:10.1542/peds.2012-1516</ref> যারা এই টিকা নিয়েছে, তাদের যৌন কার্যকলাপের হার, যারা নেয়নি তাদের তুলনায় বেশি বা কম নয়।
===প্রাপ্তবয়স্ক অবস্থা===
নতুন বাবা-মায়েরা (অর্থাৎ সদ্যজাত শিশুর সহ-অভিভাবকরা) সাধারণত যৌন কার্যকলাপে একটি পতনের সম্মুখীন হন। কিছু নারীর ক্ষেত্রে প্রসব-পরবর্তী ব্যথার কারণে যৌন আগ্রহ কমে যেতে পারে। তবে অধিকাংশের ক্ষেত্রে এই পতনের প্রধান কারণ নবজাতকের যত্ন নেওয়া নিয়ে সৃষ্ট মানসিক চাপ, ঘুমের অভাব এবং অন্যান্য নানা দায়িত্ব।<ref name="VanAnders2013">Van Anders, Sari M., Lauren E. Hipp, and Lisa Kane Low. 2013. “Exploring Co-Parent Experiences of Sexuality in the First 3 Months after Birth.” The Journal of Sexual Medicine 10(8):1988–99.</ref>
===বৃদ্ধাবস্থা===
==নারী ও পুরুষের যৌনতার পার্থক্য==
নারী ও পুরুষের মধ্যে একটি বড় পার্থক্য হলো, পুরুষেরা নৈমিত্তিক যৌন সম্পর্কে বেশি আগ্রহী। তারা নারীদের তুলনায় অনেক বেশি এমন সম্পর্ক চায়।<ref name="Schützwohl2009">Schützwohl, Achim, Amrei Fuchs, William McKibbin, and Todd Shackelford. n.d. “How Willing Are You to Accept Sexual Requests from Slightly Unattractive to Exceptionally Attractive Imagined Requestors?.” Human Nature. http://dx.doi.org/10.1007/s12110-009-9067-3 (Accessed August 18, 2009).</ref> পুরুষেরা কেবল বেশি আগ্রহীই নন, তারা যৌন সঙ্গী নির্বাচনেও তুলনামূলকভাবে কম বেছে চলে। নারীরা সাধারণত তখনই নৈমিত্তিক যৌন সম্পর্কে আগ্রহী হন, যদি পুরুষ সঙ্গী খুব আকর্ষণীয় হন। মাঝারি আকর্ষণের পুরুষ হলে, নারীরা তুলনামূলকভাবে কম আগ্রহ দেখান।
অন্যান্য সামাজিক দিকগুলোর মতো, যৌনতার ক্ষেত্রেও নারীরা অবিচারের শিকার হন। এক গবেষণায় দেখা গেছে, কিশোরী এবং তরুণ নারীরা প্রায়ই পুরুষ সঙ্গীদের দ্বারা জন্মনিয়ন্ত্রণের বাধা (যেমন কনডম ছিদ্র করা) মোকাবিলা করেন।<ref name="Chan2009">Chan, Ronna L., and Sandra L. Martin. 2009. “Physical and sexual violence and subsequent contraception use among reproductive aged women.” Contraception 80:276-281.</ref> একে বলা হয় "reproductive coercion" বা প্রজনন সংক্রান্ত জবরদস্তি, যা প্রায়ই শারীরিক বা যৌন সহিংসতার সাথে সম্পর্কিত। প্রায় প্রতি পাঁচ জন তরুণ নারীর মধ্যে একজন এ ধরনের অভিজ্ঞতার শিকার হন এবং ৫০ শতাংশের বেশি নারীর কোনো না কোনো সময় তাদের সঙ্গীর কাছ থেকে শারীরিক বা যৌন সহিংসতা সহ্য করতে হয়েছে। এই ধরনের সহিংসতার মূল উদ্দেশ্য সাধারণত ক্ষমতা ও নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখা।<ref name="Chan2009"/>
আরেকটি পার্থক্য হলো কিছু পুরুষ তিনটি বৈশিষ্ট্য একত্রে ধারণ করে (যাকে বলা হয় "the dark triad"): আত্মমুগ্ধতা, ঝুঁকি নিতে ভালোবাসা এবং প্রতারণা।<ref name="Jonason2009">Jonason, P. K.. Li, N. P., Webster, G. W., & Schmitt, D. P. (2009). The Dark Triad: Facilitating short-term mating in men. European Journal of Personality, 23, 5-18.</ref> যদিও এই ধরনের পুরুষ সমাজে খুব বেশি সংখ্যায় নেই, তবে যারা এই বৈশিষ্ট্য বহন করে, তারা স্বল্পমেয়াদি সম্পর্কের ক্ষেত্রে বেশি সফল হয়।<ref name="Jonason2009"/> অর্থাৎ, এই ধারণাটি কিছুটা সত্য যে "খারাপ ছেলেরাই বেশি মেয়ে পায়।"
==যৌনতার সাংস্কৃতিক ভিন্নতা==
সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, অধিকাংশ মার্কিন বাবা-মা বিশ্বাস করেন না যে তাদের সন্তানরা যৌনে আগ্রহী। তবে তারা মনে করেন অন্যসব ছেলেমেয়েরা যৌনে আগ্রহী।<ref name="Elliott2012">Elliott, Sinikka. 2012. Not My Kid: What Parents Believe about the Sex Lives of Their Teenagers. New York: New York University Press. </ref> অবশ্য, অধিকাংশ বাবা-মা ভুল। কিন্তু এই ভুল ধারণার ফলে তারা মনে করেন, তাদের সন্তানরা নিষ্পাপ এবং অন্যদের প্ররোচনায় যৌন কার্যকলাপে যুক্ত হয়।
মার্কিন বাবা-মায়েরা কিশোরদের মধ্যে যৌনতা নিয়ে শঙ্কিত হন এবং প্রায়শই তা নিষিদ্ধ করেন। অপরদিকে, ডাচ বাবা-মায়েরা সম্পূর্ণ ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করেন। তারা সন্তানদের সাথে যৌনতা নিয়ে আলোচনা করেন এবং যখন উপযুক্ত মনে করেন, তখন যৌনতা গ্রহণে উৎসাহ দেন। এমনকি, তারা সন্তানদের নিজের ঘরে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করতে উৎসাহিত করেন যেন সেটা নিরাপদ ও আনন্দদায়ক হয়। বাস্তবে, ১০ জন ডাচ অভিভাবকের মধ্যে ৯ জন এতে কোনো সমস্যা দেখেন না। কিন্তু মার্কিন অভিভাবকদের মধ্যে ৯ জন এতে আপত্তি করেন।<ref name="Schalet2011">Schalet, Amy T. 2011. Not under My Roof: Parents, Teens, and the Culture of Sex. Chicago: University of Chicago Press.</ref> এই মনোভাবগত পার্থক্যের কারণে যুক্তরাষ্ট্রে জন্মনিয়ন্ত্রণ ব্যবহারের হার মাত্র ২৬ শতাংশ, আর নেদারল্যান্ডসে তা ৬৩ শতাংশ। যুক্তরাষ্ট্রে ৬৩ শতাংশ ছেলে ও ৬৯ শতাংশ মেয়ে পরে অনুশোচনা করে বলে যে তারা ইচ্ছা করেছিল আরও দেরি করে যৌনতা শুরু করতে। নেদারল্যান্ডসে সেই অনুশোচনার হার মাত্র ৫ ও ২০ শতাংশ।<ref name="Schalet2011"/> এর আরও একটি পরিণতি হলো, যুক্তরাষ্ট্রে কিশোরী গর্ভধারণের হার নেদারল্যান্ডসের তুলনায় তিন গুণ বেশি।<ref name="Schalet2011"/>
==যৌন সম্পর্ক রাখা==
যৌন সম্পর্ক স্বাস্থ্যের উন্নতির সঙ্গে সম্পর্কিত এবং যাঁদের স্বাস্থ্য ভালো, তাঁদের মধ্যে যৌন সম্পর্কের হারও বেশি।<ref name="Lindau2010">Lindau, S. T., and N. Gavrilova. 2010. “Sex, health, and years of sexually active life gained due to good health: evidence from two US population based cross sectional surveys of ageing.” BMJ 340:c810-c810.</ref> এক গবেষণায় দেখা গেছে, ৭৫ থেকে ৮৫ বছর বয়সীদের মধ্যে ৩৮.৯ শতাংশ পুরুষ এবং ১৬.৮ শতাংশ নারী যৌনভাবে সক্রিয়। আর এটা সরাসরি স্বাস্থ্যর সাথে সম্পর্কযুক্ত। যাঁদের স্বাস্থ্য ভালো, তাঁদের যৌন আগ্রহ ও কার্যকলাপও বেশি।<ref name="Lindau2010"/> ঐ একই গবেষণায় দেখা গেছে, ৩০ বছর বয়সীদের যৌনভাবে সক্রিয় জীবনের গড় বছর পুরুষদের ক্ষেত্রে ৩৪.৭ বছর এবং নারীদের ক্ষেত্রে ৩০.৭ বছর। পুরুষেরা যৌনে বেশি আগ্রহ দেখান এবং নারীদের তুলনায় বেশি যৌন সম্পর্ক করেন।<ref name="Lindau2010"/> যারা নিয়মিত যৌনসম্পর্কে লিপ্ত, তারা কাজেও বেশি মনোযোগী এবং খুশি থাকেন, বিশেষ করে যৌন সম্পর্কের পরের দিন।<ref name="Leavitt2017">Keith Leavitt et al, From the Bedroom to the Office, Journal of Management (2017).</ref>
২০১৭ সালে প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, আমেরিকানরা এখন আগের তুলনায় কম যৌনসম্পর্কে লিপ্ত হন। ২০০০-এর দশকের গোড়া ও ৯০-এর দশকের তুলনায় এটা অনেক কম।<ref name="Twenge2017">Jean M. Twenge et al, Declines in Sexual Frequency among American Adults, 1989–2014, Archives of Sexual Behavior (2017).</ref> যৌনতা হ্রাসের নির্দিষ্ট কোনো কারণ জানা না গেলেও, এর একটি কারণ হলো নিয়মিত যৌন সঙ্গীর অভাব। আরেকটি কারণ হলো বয়সভেদে যৌনতা কমে যাওয়া। ২০ বছর বয়সীরা বছরে ৮০ বারের বেশি যৌন সম্পর্ক করে, যেখানে ৬৫ বছর বয়সীদের ক্ষেত্রে এই সংখ্যা মাত্র ২০ বার।<ref name="Twenge2017"/>
কিছু জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি যৌন আনন্দ হ্রাস করতে পারে। যারা কনডম ও হরমোনজনিত জন্মনিয়ন্ত্রণ একসাথে ব্যবহার করেন, তাদের যৌন সন্তুষ্টি সর্বোচ্চ। আর যারা শুধু কনডম ব্যবহার করেন, তাদের সন্তুষ্টি সর্বনিম্ন।<ref name="Higgins2008">Higgins, J.A., S. Hoffman, C.A. Graham, and S.A. Sanders. 2008. “Relationships between condoms, hormonal methods, and sexual pleasure and satisfaction: an exploratory analysis from the Women’s Well-Being and Sexuality Study.” Sex. Health 5:321-330.</ref> যদিও বিভিন্ন জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে, তবে একটি বহুল প্রচলিত অভিযোগ - জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি খেলে ওজন বেড়ে যায় - এখন অবৈজ্ঞানিক বলে মনে করা হচ্ছে।<ref name="Edelman2011">Edelman, A., J.T. Jensen, M. Bulechowsky, and J. Cameron. 2011. “Combined oral contraceptives and body weight: do oral contraceptives cause weight gain? A primate model.” Human Reproduction 26:330-336.</ref> বাস্তবে, উল্টোটা ঘটতে পারে। এই বড়ি ব্যবহারে মৌলিক বিপাক হার (basal metabolic rate) বেড়ে যেতে পারে (বানরের ক্ষেত্রে), যা ওজন হ্রাসে সাহায্য করতে পারে।<ref name="Edelman2011"/>
কিছু নারী (পুরুষদের নিয়ে যথেষ্ট গবেষণা নেই) যৌন সম্পর্কের পর "postcoital dysphoria" নামে পরিচিত এক ধরনের নেতিবাচক অনুভূতির শিকার হন, যদিও সম্পর্কটি সন্তোষজনক হয়।<ref name="Bird2011">Bird, Brian S., Robert D. Schweitzer, and Donald S. Strassberg. 2011. “The Prevalence and Correlates of Postcoital Dysphoria in Women.” International Journal of Sexual Health 23(1):14–25.</ref> কেন কিছু নারী এই অনুভূতি অনুভব করেন, তা পরিষ্কার নয়। তবে এক গবেষণায় দেখা গেছে, প্রায় ১০ শতাংশ নারী প্রায়শই বা নিয়মিতভাবে এই অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হন (প্রায় এক-তৃতীয়াংশ নারী কখনো না কখনো এই অনুভূতি অনুভব করেছেন)।
==যৌনকার্য==
যৌনকার্যের অনেক রূপ আছে। কলেজের ফিল্ম শিল্প থেকে বণ্যাবৃত্তি—সবই এর মধ্যে পড়ে।
বণ্যাবৃত্তি নিয়ে সাধারণ ধারণা হলো এটি “অপরিসীম মন্দ” এবং নারীদের ওপর এটি নিপীড়নমূলক।<ref name="weitzer2007">weitzer, ronald. 2007. “prostitution: facts and fictions.” Contexts 6:28-33.</ref> কিছু ক্ষেত্রে এই ধারণা ঠিক হতে পারে। তবে অধিকাংশ বণ্যাবৃত্তির ক্ষেত্রেই তা প্রযোজ্য নয়। এমনকি যেখানে আইনত এটি বৈধ, সেখানে ব্যাপারগুলি সম্পূর্ণ আলাদা। যারা “নিপীড়নমূলক মডেল” বিশ্বাস করে, তারা বলেন অধিকাংশ বণ্যপ্রসূ নারী শৈশবে যৌন নিপীড়নের শিকার, তাদের চাপ প্রয়োগ করে এ পথে প্রবেশ করানো হয়েছে অল্পবয়সে, তারা পাচারকারীদের নিয়ন্ত্রিত, তারা ড্রাগ-পান, সহিংস আচরণের শিকার, কাজের পরিবেশ ভয়াবহ, এবং আইনত বৈধ হলে অবস্থা আরও খারাপ হবে।<ref name="weitzer2007"/> অন্যদিকে, যারা শৈশবে যৌন আঘাত পেয়েছে, তারা ট্রানজ্যাকশনারি যৌনকে ক্ষমতা ফিরে পাওয়ার পথ হিসেবে দেখতে পারে। কারণ তারা নিজে চুক্তি না করলে তা রোখার অধিকার রাখে। “নিপীড়নমূলক মডেল” ধারণা মূলত মিডিয়ায় প্রচারিত অতিরঞ্জিত ঘটনাগুলোর ওপর ভিত্তি করে এবং Straßen (রাস্তার) বণ্যাবৃত্তির ওপর যা দৃষ্টি বেশি, যা ভিতরে বা অন্য মাধ্যমে পরিচালিত কাজের সঙ্গে তুলনীয় নয়। রাস্তার বণ্যপ্রসূদের ২৭% assaulted, ৩৭% লুটপাট ও ২২% ধর্ষণের শিকার।<ref name="weitzer2007"/> তবে অনেকেই পাচারের হাত থেকে আসেননি, কমই কেউ শুরু করেছিলেন ১৬ বছর বয়সের আগে, এবং যদিও কেউ ড্রাগ সেবী তো HIV/AIDS-র ঝুঁকি বেশি, না হলে তাদের ঝুঁকি কম। ছোট বেলায় যৌন নিপীড়নের প্রমাণও খুব সীমিত। তবে যুক্তরাষ্ট্রে মাত্র ২০% বণ্যপ্রসূ রোগীরা রাস্তার পথে কাজ করেন,<ref name="weitzer2007"/> বাকিরা গোপনে ক্লায়েন্টদের সাথে দেখা করেন, অনলাইনে, ম্যাগাজিন/পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের মাধ্যমেও ক্লায়েন্ট পান বা এস্কোর্ট қызметে নিয়োজিত।
বাকি ৮০% বণ্যপ্রসূদের কাজের পরিবেশ কেমন? তারা নিরাপদ পরিবেশে কাজ করে—১% assaulted, ২% ধর্ষণের শিকার, ১০% লুটপাটের বলি।<ref name="weitzer2007"/> শারীরিক স্বাস্থ্য, আত্মসম্মান, মানসিক সুস্থতা ও সামাজিক যোগাযোগের মান। তারা একদম সাধারণ নারীদের মতো। অনেকেই তাঁদের পেশায় শক্তিশালী বোধ করেন। এবং যেসব দেশে বণ্যাবৃত্তি বৈধ, সেখানে এরা আরও স্বাস্থ্যবান, নিরাপদ ও কর্মে সন্তুষ্ট থাকে।<ref name="weitzer2007"/>
দূঃসাহসিক হলেও, প্রায় ৫০% আমেরিকান বণ্যাবৃত্তিকে বৈধ করতে চান।<ref name="weitzer2007"/> যেখানে এটি বৈধ বা ডিক্রিমিনালাইজ করা হয়, যৌনকর্মীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অপরাধ তদন্তে সহযোগিতা করেন—যা দণ্ডিত হওয়ার আশঙ্কায় সাধারনত তারা করেন না। আমেরিকান পুরুষদের প্রায় ১৭% একবার বা একাধিকবার বন্যাানুষ্ঠানে অর্থ দিয়ে যৌনসেবা নিয়েছেন।<ref name="weitzer2007"/>
==যৌন অভিমুখ বা পরিচয়==
'''যৌন অভিমুখ''' হলো কারো প্রতি সৌন্দর্য, রোমান্টিক বা যৌন আকর্ষণের নির্দিষ্ট ধারা—পুরুষ, নারী, উভয়, নেই কোনটাই, অথবা অন্য কোনো লিঙ্গ হতে পারে। আমেরিকান সাইকোলজিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের মতে, অভিমুখ মানুষের ব্যক্তিগত ও সামাজিক পরিচয়ের অংশ, যা আকর্ষণ, নিয়ে আচরণ প্রকাশ ও সেই সমুদায়ে অন্তর্ভুক্তির ভিত্তিতে তৈরি হয়।<ref name="brief">APA California Amicus Brief</ref> সাধারণভাবে ‘বৈরেলিঙ্গ’, ‘সমলিঙ্গ’, ‘উভয়লিঙ্গ’ এই তিন বিভাগে তা ভাগ করা হয়ে থাকে। তবে কেউ কেউ ‘এজেক্স’ বা লেবেল নাও ব্যবহার করে।<ref name="American Psychological Association">American Psychological Association...</ref> এই অভিমুখগুলো একটি লিনিয়ার কন্টিনিউয়ামে অবস্থান করে — একপ্রান্ত একদম বৈরেলিঙ্গ, অন্যপ্রান্ত একদম সমলিঙ্গ, মাঝখানে রয়েছে বিভিন্ন রকমের উভয়লিঙ্গ। তবে সবাই এই কন্টিনিউয়ামে নিজেকে ফিট করতে পারে না। কারোরা নিজেকে অযৌন (asexual) বলেও চিহ্নিত করেন। অনেক যৌনবিজ্ঞানী এটিকে একটা অত্যন্ত সরলীকৃত ধারণা মনে করেন এবং আরও সূক্ষ্ম পরিচয়ের প্রয়োজনে গুরুত্ব দেন।<ref>Planned Parenthood...</ref>
অভিমুখ সম্পর্কে প্রায় সব সংজ্ঞাতেই মনস্তাত্ত্বিক এবং/অথবা স্ববৃত্তিমূলক উপাদান থাকে—যেমন কার সাথে যৌন ইচ্ছা বা কার সাথে বাস্তব যৌনসম্পর্ক। কেউ কেউ মনে করেন ব্যক্তির নিজের বিচারের ওপর নির্ভর করাই যথেষ্ট।
যৌনবিজ্ঞান, জনসংখ্যাবিজ্ঞান আর ইতিহাসের কিছু গবেষকের মতে, বৈরেলিঙ্গ বা সমলিঙ্গ κοινων সবার জন্য নয়। অনেক সমাজ সম্যকভাবে বিবেচনা করে বয়স, সামাজিক ভূমিকা বা স্তরের ভিত্তিতেও।
'''যৌন পরিচয়''' বলতে বোঝানো হয় ব্যক্তির নিজের লিঙ্গ বা পরিচয়ের ধারণা, যা যৌন অভিমুখ থেকে আলাদা। ‘যৌন পছন্দ’ (‘sexual preference’) শব্দটি অভিমুখের মতো, তবে বৈজ্ঞানিক জায়গায় ‘অভিমুখ’ শব্দ বেশি ব্যবহৃত।
যৌন অভিমুখ পশ্চিমা ইন্ডাস্ট্রিয়াল সমাজে উন্নত হয়। এর বৈশ্বিক প্রয়োগ নিয়ে বিতর্ক আছে।<ref>Diamant & McAnulty</ref> যেমন ফুকো বলেন, “‘যৌনতা’ আধুনিক রাষ্ট্র, শিল্প বিপ্লব আর পুঁজিবাদের আবিষ্কার।”<ref>Chinese Femininities...</ref>
'''যৌন সংখ্যালঘু''' বলতে বোঝায়—সমলিঙ্গ, উভয়লিঙ্গ ও অযৌন ব্যক্তিদের। এই গ্রুপের মানসিক স্বাস্থ্য বা মাদকের চিকিৎসার চাহিদা সরলৈঙ্গের তুলনায় দ্বিগুণ।<ref name="Grella2009">Grella et al., 2009</ref> সমলিঙ্গ/উভয়লিঙ্গদের ৪৮.৫% গত বছরে মানসিক চিকিৎসা নিয়েছেন, যেখানে বৈরেলিঙ্গদের ২২.৫%।<ref name="Mustanski2010">Mustanski et al., 2010</ref> LGBT তরুণদের মধ্যে ৩০% মানসিক সমস্যায় ভুগে, যদিও ৭০% ঠিক আছে। ১০% PTSD-তে ভুগে, ১৫% বাৎসরিক বিষণ্ণতায় আক্রান্ত এবং এক-তৃতীয়াংশ আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে। এসব হার শহুরে ও সংখ্যালঘু তরুণদের মতো। এই সমস্যার মূল কারণ—অভিমুখের ভিত্তিতে অবিচার ও বৈষম্য। গত ৪০ বছরে আমেরিকানদের মধ্যে সমলিঙ্গ সম্পর্ক মেনে নেওয়া বাড়ছে। অনেকেই সমলিঙ্গ বিয়ের কিংবা নাগরিক অংশীদারিত্বের অধিকার চান।<ref name="Goldberg2006">Goldberg, 2006</ref>
প্রায় ২৫% সমলিঙ্গ কিশোর ও ১৫% উভয়লিঙ্গ কিশোর নিঃস্ব থাকে, যেখানে বৈরেলিঙ্গদের মাত্র ৩%। এছাড়া, এদের অধিকাংশই অভিভাবকদের সঙ্গে নয়।<ref name="Corliss2011">Corliss et al., 2011</ref>
ক্যালিফোর্নিয়ায় সমলিঙ্গ নারীদের অংশীদারি হার ও বৈরেলিঙ্গ নারীদের মতোই; কিন্তু পুরুষদের ক্ষেত্রে সমলিঙ্গ পুরুষদের তুলনামূলক অংশীদারি কম।<ref name="Carpenter2008">Carpenter & Gates, 2008</ref>
আজ পর্যন্ত এমন কোনো প্রমাণ নেই যে কারোর অভিমুখ পরিবর্তন সম্ভব।<ref name="Goldberg2006"/> বরং এমন প্রচেষ্টা হতাশা, উদ্বেগ এবং আত্ম-ধ্বংসী প্রবণতা বাড়াতে পারে।<ref name="Goldberg2006"/>
==যৌনতা এবং রাজনীতি==
==যৌনতা এবং ধর্ম==
==যৌন নির্যাতন==
যৌন নির্যাতনের একটি ধরন হলো ধর্ষণ। এটি অনেক বেশি প্রচলিত, যতটা মানুষ সাধারণত মনে করে না। জাতিসংঘের জন্য গবেষণা করা কিছু গবেষক এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ধর্ষণের ওপর একটি রিপোর্ট তৈরি করেছেন। সেই গবেষণায় দেখা গেছে, ধর্ষণের হার দেশভেদে ভিন্ন।<ref name="Fulu2013">Fulu, Emma et al. 2013. Why Do Some Men Use Violence against Women and How Can We Prevent It? Quantitative Findings from the United Nations Multi-Country Study on Men and Violence in Asian and the Pacific. Bangkok: UNDP, UNFPA, Un Women, and UNV. Retrieved (http://countryoffice.unfpa.org/timor-leste/drive/p4p-report.pdf).</ref> পাপুয়া নিউ গিনিতে প্রায় ৬০% পুরুষ কোনো নারীকে জোরপূর্বক যৌনসম্পর্কে বাধ্য করেছে। আর কাম্বোডিয়ায় এ হার ১০%-এর নিচে। সামগ্রিকভাবে, প্রায় প্রতি ৪ জন পুরুষের মধ্যে ১ জন কোনো না কোনো সময় একজন নারীকে জোর করে যৌনসম্পর্কে বাধ্য করেছে।<ref name="Fulu2013"/> বিশ্বব্যাপী প্রতি ১০ জন ২০ বছরের কম বয়সী মেয়ের মধ্যে ১ জন ধর্ষণ বা যৌন নিপীড়নের শিকার হয়।<ref name="UNICEF2014">Hidden in Plain Sight: A Statistical Analysis of Violence Against Children. Retrieved (http://www.unicef.org/publications/files/Hidden_in_plain_sight_statistical_analysis_EN_3_Sept_2014.pdf).</ref>
যুক্তরাষ্ট্রে করা গবেষণা থেকে জানা গেছে, কলেজ ক্যাম্পাসে যৌন নির্যাতন বেশ উদ্বেগজনক হারে ঘটে। তবে যেসব তরুণ-তরুণী কলেজে পড়ে না, তাদের ক্ষেত্রে যৌন নির্যাতনের ঝুঁকি আরও বেশি। খুব কম অথবা একেবারেই কলেজে না যাওয়া নারীরা যৌন নির্যাতন বা জোরপূর্বক যৌনসম্পর্কের শিকার হওয়ার আশঙ্কায় ২.৫ গুণ বেশি। আর পুরুষদের ক্ষেত্রে এই হার প্রায় ৪ গুণ বেশি।<ref name="Axinn2017">William George Axinn et al. General population estimates of the association between college experience and the odds of forced intercourse, Social Science Research (2017). DOI: 10.1016/j.ssresearch.2017.10.006</ref>
যৌন নির্যাতনের পেছনে যেসব কারণ কাজ করে, তার মধ্যে একটি হলো মানুষকে যৌন বস্তু হিসেবে দেখা। অর্থাৎ কাউকে ব্যক্তি হিসেবে না দেখে কেবল যৌনতার দৃষ্টিতে দেখা।<ref name="Gervais2013">Gervais, Sarah J., Arianne M. Holland, and Michael D. Dodd. 2013. “My Eyes Are Up Here: The Nature of the Objectifying Gaze Toward Women.” Sex Roles 69(11-12):557–70.</ref> সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, নারীদের যৌন বস্তু হিসেবে দেখার প্রবণতা খুব সাধারণ। অন্তত কলেজ ক্যাম্পাসে এমনটা প্রায়ই ঘটে। নারী যখন কারও সঙ্গে কথা বলে, তখন অনেক সময় মানুষ তার চোখের দিকে না তাকিয়ে স্তনের দিকে তাকায়।<ref name="Gervais2013"/> বড় স্তনের নারীদের ক্ষেত্রে এই ঘটনা আরও বেশি ঘটে। তবে গবেষণায় একটি চমকপ্রদ তথ্য পাওয়া গেছে—নারীদের স্তনের দিকে শুধু পুরুষই তাকান না, নারীরাও তাকান। তবে তাদের কারণ ভিন্ন। পুরুষরা তাকায় যৌনভাবে, কিন্তু নারীরা তাকান নিজেদের সঙ্গে তুলনা করার মানসিকতা থেকে। অর্থাৎ নারীরাও নিজের শরীরকে যৌন বস্তু হিসেবে ভাবতে ভাবতে নিজেরাই পরোক্ষভাবে নিজেদের যৌন বস্তুকরণে ভূমিকা রাখে।<ref name="Gervais2013"/>
পুরুষদের ক্ষেত্রে যৌন নির্যাতনের ঝুঁকি বাড়ায় এমন একটি বড় কারণ হলো শৈশবে শারীরিক বা যৌন নির্যাতনের অভিজ্ঞতা। যারা ছোটবেলায় এমন নির্যাতনের শিকার হয়েছে, তারা অন্যদের তুলনায় ৪.৫ গুণ বেশি যৌনভাবে জবরদস্তিমূলক আচরণ করে থাকে।<ref name="Casey2009">Casey, Erin A., Blair Beadnell, and Taryn P. Lindhorst. 2009. “Predictors of Sexually Coercive Behavior in a Nationally Representative Sample of Adolescent Males.” J Interpers Violence 24:1129-1147.</ref> তবে এমন আচরণকারী পুরুষদের অর্ধেকেরও বেশি কোনো ধরনের শৈশবকালীন যৌন নির্যাতনের শিকার ছিল না।<ref name="Casey2009"/>
==References==
{{reflist}}
==বহিঃসংযোগ==
* [http://sexology.it/glossario_sessuologia.html Glossary of clinical sexology]
{{BookCat}}
e718qf1w7f0leeoslyycz727ac5n25n
85792
85791
2025-07-07T11:59:37Z
Tahmid
4464
85792
wikitext
text/x-wiki
{{TODO|ভবিষ্যতের অধ্যায়সমূহ অনুযায়ী সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি অনুচ্ছেদের বিষয়বস্তু এখনো সম্পূর্ণ হয়নি।}}
'''নির্মাণাধীন'''
'''মানব যৌনতা''' হল মানুষ কীভাবে যৌন উত্তেজনা অনুভব করে এবং তারা কীভাবে নিজেদের যৌনসত্তা হিসেবে প্রকাশ করে।<ref name="Rathus2007">Rathus, Spencer A., Jeffrey S. Nevid, and Lois Fichner-Rathus. 2007. Human Sexuality in a World of Diversity. Allyn & Bacon.</ref> মানব যৌনতার অনেক দিক রয়েছে।
[[w:en:Biology|জৈবিকভাবে]], যৌনতা বোঝায় প্রজনন প্রক্রিয়া এবং মৌলিক জৈবিক প্রণোদনাকে, যা সব প্রাণীর মধ্যে বিদ্যমান। এটি যৌন সহবাস ও যৌন সংস্পর্শের সব ধরনের আচরণ অন্তর্ভুক্ত করতে পারে।
যৌনতার আরও একটি দিক আছে, যা আবেগগত বা শারীরিক হতে পারে। এটি বোঝায় দুই ব্যক্তির মধ্যে সম্পর্ক বা বন্ধন, যা গভীর অনুভূতি বা আবেগের মাধ্যমে প্রকাশ পেতে পারে। আবার এটি যৌন আচরণের শারীরবৃত্তীয় বা মনোবৈজ্ঞানিক বিষয় নিয়ে চিকিৎসাবিদ্যার আলোচনারও অংশ হতে পারে। সমাজবিজ্ঞানের দৃষ্টিকোণ থেকে, যৌনতা সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ও আইনি বিষয়কে অন্তর্ভুক্ত করতে পারে। আর দর্শনের ক্ষেত্রে, এটি নৈতিকতা, আধ্যাত্মিকতা বা ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গি জড়িত করে।
সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, যৌনতা ব্যক্তিগত পরিচয় গঠনে এবং ব্যক্তির সামাজিক বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে:
<blockquote> “মানব যৌনতা শুধুমাত্র প্রবৃত্তি বা প্রাণীদের মতো অটোমেটিক আচরণ দ্বারা নির্ধারিত নয়, বরং এটি উচ্চতর মানসিক ক্রিয়া এবং সামাজিক, সাংস্কৃতিক, শিক্ষাগত ও নিয়মতান্ত্রিক বৈশিষ্ট্য দ্বারা প্রভাবিত হয়। এই বৈশিষ্ট্যগুলি নির্ধারণ করে, যে পরিবেশে ব্যক্তি বড় হয় এবং তার ব্যক্তিত্ব গঠিত হয়। সুতরাং যৌনতা বিশ্লেষণ করতে হলে আবেগ, অনুভূতি ও সম্পর্কের মতো একাধিক বিকাশধারার সংমিশ্রণকে গুরুত্ব দিতে হয়।”<ref name= Boccadoro >Boccadoro L., Carulli S. (2009) ''Il posto dell'amore negato. Sessualità e psicopatologie segrete'' ([http://www.sexology.it/abstract_english.html The place of the denied love. Sexuality and secret psychopathologies]). Tecnoprint Editrice, Ancona. <small>{{ISBN|978-88-95554-03-7}}</small> </ref> </blockquote>
অনেক ঐতিহাসিক যুগে, খুঁজে পাওয়া শিল্পকর্ম ও বস্তু সামগ্রী সেই সময়ের মানব যৌনতার ধারণা প্রকাশ করে।<ref name="Rathus2007"/>
==মানব যৌনতাকে প্রভাবিতকারী উপাদানসমূহ==
গর্ভাবস্থার সময় ভ্রূণের বিকাশে হরমোন পরিবর্তনের কারণে মানব যৌনতা প্রভাবিত হতে পারে। কেউ কেউ বলেন, যৌনতা প্রকাশের ধরন অনেকাংশে জিনগত প্রবণতার কারণে হয়ে থাকে। আবার কেউ বলেন, এটি প্রাথমিক জীবনের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার ওপর নির্ভর করে, যার মাধ্যমে পছন্দ গড়ে ওঠে। একটি মিশ্র মতামত হলো—এই দুই উপাদানই পারস্পরিকভাবে কাজ করে।
সমকামিতার ক্ষেত্রে জেনেটিক প্রভাবের বিরুদ্ধে একটি সাধারণ যুক্তি হলো, সমকামী পুরুষরা সাধারণত সন্তান উৎপাদন করে না। ফলে তাদের যৌন পরিচয়ে অবদান রাখা জিনগুলো উত্তরাধিকারসূত্রে ছড়ায় না। এই যুক্তির ফলে ধারণা করা হয়, এই জিনগুলো তাদের সঙ্গেই বিলুপ্ত হয়ে যায়।<ref name="Vasey2010">http://esciencenews.com/articles/2010/02/04/study.reveals.potential.evolutionary.role.same.sex.attraction</ref> তবে সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, সমকামিতা "[[w:Kin selection|কিন নির্বাচনের]]" বিবর্তনীয় মডেল অনুসরণ করতে পারে।
কিন নির্বাচনের মূল ধারণা হলো—কোনও ব্যক্তি হয়তো নিজের সন্তান জন্ম দিচ্ছে না, কিন্তু সে তার আত্মীয়দের সন্তান জন্ম ও লালনপালনে সহায়তা করছে। এর ফলে সে পরোক্ষভাবে নিজের জিনগুলোকে বংশপরম্পরায় চালিয়ে যাচ্ছে। একটি গবেষণায় দেখা গেছে, [[w:Samoa|সামোয়া]]র [[w:fa'afafine|ফা’আফাফিন]] নামের সমকামী পুরুষেরা, যারা সেখানে নারীর ও পুরুষের বাইরে একটি ভিন্ন লিঙ্গ পরিচয় হিসেবে বিবেচিত, তাদের নিকটাত্মীয়দের সন্তানদের জীবনে তারা আরও বেশি সক্রিয় ভূমিকা পালন করে, তুলনায় সাধারণ নারীমামা বা পুরুষখালাদের চেয়ে।<ref name="Vasey2010"/> এই গবেষণাটি কিন নির্বাচনের তত্ত্বকে সমর্থন করে এবং ব্যাখ্যা করে কেন সমকামীতা জেনেটিকভাবে থাকতে পারে, যদিও সমকামী ব্যক্তিরা তুলনামূলকভাবে কম সন্তানের জন্ম দেন।
মানব যৌনতা সামাজিক জীবনের অংশ হিসেবেও ব্যাখ্যা করা যায়, যেখানে আচরণের অঘোষিত নিয়ম এবং প্রচলিত রীতিনীতি প্রভাব ফেলে। অনেকেই বলেন, যৌনতা সামাজিক নিয়মকে প্রভাবিত করে, এবং সমাজও যৌনতা প্রকাশের ধরনকে নিয়ন্ত্রণ করে। গণমাধ্যম আবিষ্কারের পর যৌনতা আমাদের জীবনের পরিবেশকে আরও বেশি প্রভাবিত করেছে। এটি প্রায়ই স্টিরিওটাইপে পরিণত হয় এবং মুদ্রণ, অডিও ও চলচ্চিত্রের মাধ্যমে বাণিজ্যিকভাবে উপস্থাপিত হয়।
মানব যৌনতা এবং লিঙ্গ পরিচয় এক নয়। লিঙ্গ পরিচয় যৌন পরিচয়ের চেয়ে বিস্তৃত একটি ধারণা। শিশুকালে সামাজিক পরিবেশের প্রভাবে লিঙ্গ গঠিত হতে পারে। যেমন, একটি ছোট ছেলেকে খেলনার ট্রাক দেওয়া হয়, আর একটি মেয়েকে পুতুল। মানব শরীরবৃত্ত এবং এই লিঙ্গ গঠনের পদ্ধতি যৌন প্রকাশের কিছু ধরনকে সম্ভব করে তোলে, এমনকি কখনো তা প্রবণতাও সৃষ্টি করে। তবে ভবিষ্যতের যৌন আচরণ লিঙ্গ উপযুক্ত হবে কি না, তা নির্ধারণ করে না।
মানব যৌনতার সিদ্ধান্ত সাধারণত বর্তমান সংস্কৃতি ও সমাজের নিয়ম অনুযায়ী নেওয়া হয়। যেমন, কেউ কেউ বিয়ের আগে যৌন সম্পর্ক থেকে বিরত থাকে, কারণ তাদের ধর্ম এতে নিষেধ করে। আবার কিছু সংস্কৃতিতে একজন পুরুষ একাধিক স্ত্রী রাখতে পারেন, যেখানে অন্য সংস্কৃতিতে একাধিক বিবাহের প্রতি নেতিবাচক মনোভাব থাকে। যারা প্রচলিত যৌনতার বাইরে নিজেদের প্রকাশ করতে চান, তারা প্রায়ই মূল সংস্কৃতির ভেতরে উপ-সংস্কৃতি গঠন করেন।
==মানব যৌনতা সম্পর্কিত তত্ত্বসমূহ==
===সোশিওবায়োলজি===
সোশিওবায়োলজির দৃষ্টিকোণ থেকে একটি গবেষণায় দেখা গেছে, পুরুষদের মধ্যে "প্রতারণা" নিয়ে প্রতিক্রিয়ার পার্থক্য রয়েছে।<ref name="Confer2011">Confer, Jaime C., and Mark D. Cloud. 2011. “Sex differences in response to imagining a partner's heterosexual or homosexual affair.” Personality and Individual Differences 50:129-134.</ref> যদি তাদের নারী সঙ্গিনী কোনও পুরুষের সঙ্গে প্রতারণা করেন, তাহলে তারা সম্পর্ক চালিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা কম দেখায়, তুলনায় যদি সেই নারী একজন নারীর সঙ্গে প্রতারণা করেন।<ref name="Confer2011"/> এটি ইঙ্গিত করে, পুরুষদের কাছে প্রতারণার মূল বিষয়টি যৌনতা নয়, বরং পিতৃত্ব নিয়ে অনিশ্চয়তা; তারা চান না অন্য একজন পুরুষের সন্তানকে নিজেদের সন্তান ভেবে লালন-পালন করতে।<ref name="Confer2011"/>
==যৌনতা ও জীবনধারা==
===শৈশব===
===কিশোরাবস্থা===
সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, ককেশীয় মহিলাদের ২০ থেকে ৩০ শতাংশের মধ্যে [[w:premenstrual dysphoric disorder|প্রি-মেনস্ট্রুয়াল ডিসফোরিক ডিসঅর্ডার]] (PMDD; সাধারণভাবে পরিচিত [[w:PMS|PMS]]) হওয়ার একটি জেনেটিক প্রবণতা রয়েছে।<ref name="Spencer2010">Spencer, J. L., E. M. Waters, T. A. Milner, F. S. Lee, and B. S. McEwen. 2010. “BDNF variant Val66Met interacts with estrous cycle in the control of hippocampal function.” Proceedings of the National Academy of Sciences.</ref> যদিও গবেষণাটি ইঁদুরের উপর করা হয়েছিল, তবুও মানুষের এবং ইঁদুরের একই জিন রয়েছে। এই নির্দিষ্ট জিনবিশিষ্ট ইঁদুরেরা তাদের ইস্ট্রাস চক্রের (যা মানুষের ঋতুচক্রের সমতুল্য) নির্দিষ্ট সময়ে বেশি উত্তেজিত ও অনিরাপদ থাকে। তাদের স্মৃতিশক্তিও দুর্বল হয়ে পড়ে।<ref name="Spencer2010"/> এই গবেষণার ফলাফল থেকে বোঝা যায়, এই জিন বৈচিত্র্যসম্পন্ন নারীদের মধ্যে PMDD হওয়ার এটি একটি সম্ভাব্য কারণ হতে পারে।
কিছু গোষ্ঠী তরুণী নারীদের [[w:Human papillomavirus|হিউম্যান প্যাপিলোমাভাইরাস]]-এর বিরুদ্ধে টিকা দেওয়া নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তাদের বিশ্বাস, এই টিকা নেওয়ার ফলে HPV সংক্রমণের ভয় কমে যাওয়ায় তাদের যৌন কার্যকলাপ বেড়ে যেতে পারে। কিন্তু সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, HPV-এর বিরুদ্ধে টিকা দেওয়া যৌন আচরণে কোনো প্রভাব ফেলে না।<ref name="Bednarczyk2012">Bednarczyk, R. A., Davis, R., Ault, K., Orenstein, W., & Omer, S. B. (2012). Sexual Activity–Related Outcomes After Human Papillomavirus Vaccination of 11- to 12-Year-Olds. Pediatrics. doi:10.1542/peds.2012-1516</ref> যারা এই টিকা নিয়েছে, তাদের যৌন কার্যকলাপের হার, যারা নেয়নি তাদের তুলনায় বেশি বা কম নয়।
===প্রাপ্তবয়স্ক অবস্থা===
নতুন বাবা-মায়েরা (অর্থাৎ সদ্যজাত শিশুর সহ-অভিভাবকরা) সাধারণত যৌন কার্যকলাপে একটি পতনের সম্মুখীন হন। কিছু নারীর ক্ষেত্রে প্রসব-পরবর্তী ব্যথার কারণে যৌন আগ্রহ কমে যেতে পারে। তবে অধিকাংশের ক্ষেত্রে এই পতনের প্রধান কারণ নবজাতকের যত্ন নেওয়া নিয়ে সৃষ্ট মানসিক চাপ, ঘুমের অভাব এবং অন্যান্য নানা দায়িত্ব।<ref name="VanAnders2013">Van Anders, Sari M., Lauren E. Hipp, and Lisa Kane Low. 2013. “Exploring Co-Parent Experiences of Sexuality in the First 3 Months after Birth.” The Journal of Sexual Medicine 10(8):1988–99.</ref>
===বৃদ্ধাবস্থা===
==নারী ও পুরুষের যৌনতার পার্থক্য==
নারী ও পুরুষের মধ্যে একটি বড় পার্থক্য হলো, পুরুষেরা নৈমিত্তিক যৌন সম্পর্কে বেশি আগ্রহী। তারা নারীদের তুলনায় অনেক বেশি এমন সম্পর্ক চায়।<ref name="Schützwohl2009">Schützwohl, Achim, Amrei Fuchs, William McKibbin, and Todd Shackelford. n.d. “How Willing Are You to Accept Sexual Requests from Slightly Unattractive to Exceptionally Attractive Imagined Requestors?.” Human Nature. http://dx.doi.org/10.1007/s12110-009-9067-3 (Accessed August 18, 2009).</ref> পুরুষেরা কেবল বেশি আগ্রহীই নন, তারা যৌন সঙ্গী নির্বাচনেও তুলনামূলকভাবে কম বেছে চলে। নারীরা সাধারণত তখনই নৈমিত্তিক যৌন সম্পর্কে আগ্রহী হন, যদি পুরুষ সঙ্গী খুব আকর্ষণীয় হন। মাঝারি আকর্ষণের পুরুষ হলে, নারীরা তুলনামূলকভাবে কম আগ্রহ দেখান।
অন্যান্য সামাজিক দিকগুলোর মতো, যৌনতার ক্ষেত্রেও নারীরা অবিচারের শিকার হন। এক গবেষণায় দেখা গেছে, কিশোরী এবং তরুণ নারীরা প্রায়ই পুরুষ সঙ্গীদের দ্বারা জন্মনিয়ন্ত্রণের বাধা (যেমন কনডম ছিদ্র করা) মোকাবিলা করেন।<ref name="Chan2009">Chan, Ronna L., and Sandra L. Martin. 2009. “Physical and sexual violence and subsequent contraception use among reproductive aged women.” Contraception 80:276-281.</ref> একে বলা হয় "reproductive coercion" বা প্রজনন সংক্রান্ত জবরদস্তি, যা প্রায়ই শারীরিক বা যৌন সহিংসতার সাথে সম্পর্কিত। প্রায় প্রতি পাঁচ জন তরুণ নারীর মধ্যে একজন এ ধরনের অভিজ্ঞতার শিকার হন এবং ৫০ শতাংশের বেশি নারীর কোনো না কোনো সময় তাদের সঙ্গীর কাছ থেকে শারীরিক বা যৌন সহিংসতা সহ্য করতে হয়েছে। এই ধরনের সহিংসতার মূল উদ্দেশ্য সাধারণত ক্ষমতা ও নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখা।<ref name="Chan2009"/>
আরেকটি পার্থক্য হলো কিছু পুরুষ তিনটি বৈশিষ্ট্য একত্রে ধারণ করে (যাকে বলা হয় "the dark triad"): আত্মমুগ্ধতা, ঝুঁকি নিতে ভালোবাসা এবং প্রতারণা।<ref name="Jonason2009">Jonason, P. K.. Li, N. P., Webster, G. W., & Schmitt, D. P. (2009). The Dark Triad: Facilitating short-term mating in men. European Journal of Personality, 23, 5-18.</ref> যদিও এই ধরনের পুরুষ সমাজে খুব বেশি সংখ্যায় নেই, তবে যারা এই বৈশিষ্ট্য বহন করে, তারা স্বল্পমেয়াদি সম্পর্কের ক্ষেত্রে বেশি সফল হয়।<ref name="Jonason2009"/> অর্থাৎ, এই ধারণাটি কিছুটা সত্য যে "খারাপ ছেলেরাই বেশি মেয়ে পায়।"
==যৌনতার সাংস্কৃতিক ভিন্নতা==
সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, অধিকাংশ মার্কিন বাবা-মা বিশ্বাস করেন না যে তাদের সন্তানরা যৌনে আগ্রহী। তবে তারা মনে করেন অন্যসব ছেলেমেয়েরা যৌনে আগ্রহী।<ref name="Elliott2012">Elliott, Sinikka. 2012. Not My Kid: What Parents Believe about the Sex Lives of Their Teenagers. New York: New York University Press. </ref> অবশ্য, অধিকাংশ বাবা-মা ভুল। কিন্তু এই ভুল ধারণার ফলে তারা মনে করেন, তাদের সন্তানরা নিষ্পাপ এবং অন্যদের প্ররোচনায় যৌন কার্যকলাপে যুক্ত হয়।
মার্কিন বাবা-মায়েরা কিশোরদের মধ্যে যৌনতা নিয়ে শঙ্কিত হন এবং প্রায়শই তা নিষিদ্ধ করেন। অপরদিকে, ডাচ বাবা-মায়েরা সম্পূর্ণ ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করেন। তারা সন্তানদের সাথে যৌনতা নিয়ে আলোচনা করেন এবং যখন উপযুক্ত মনে করেন, তখন যৌনতা গ্রহণে উৎসাহ দেন। এমনকি, তারা সন্তানদের নিজের ঘরে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করতে উৎসাহিত করেন যেন সেটা নিরাপদ ও আনন্দদায়ক হয়। বাস্তবে, ১০ জন ডাচ অভিভাবকের মধ্যে ৯ জন এতে কোনো সমস্যা দেখেন না। কিন্তু মার্কিন অভিভাবকদের মধ্যে ৯ জন এতে আপত্তি করেন।<ref name="Schalet2011">Schalet, Amy T. 2011. Not under My Roof: Parents, Teens, and the Culture of Sex. Chicago: University of Chicago Press.</ref> এই মনোভাবগত পার্থক্যের কারণে যুক্তরাষ্ট্রে জন্মনিয়ন্ত্রণ ব্যবহারের হার মাত্র ২৬ শতাংশ, আর নেদারল্যান্ডসে তা ৬৩ শতাংশ। যুক্তরাষ্ট্রে ৬৩ শতাংশ ছেলে ও ৬৯ শতাংশ মেয়ে পরে অনুশোচনা করে বলে যে তারা ইচ্ছা করেছিল আরও দেরি করে যৌনতা শুরু করতে। নেদারল্যান্ডসে সেই অনুশোচনার হার মাত্র ৫ ও ২০ শতাংশ।<ref name="Schalet2011"/> এর আরও একটি পরিণতি হলো, যুক্তরাষ্ট্রে কিশোরী গর্ভধারণের হার নেদারল্যান্ডসের তুলনায় তিন গুণ বেশি।<ref name="Schalet2011"/>
==যৌন সম্পর্ক রাখা==
যৌন সম্পর্ক স্বাস্থ্যের উন্নতির সঙ্গে সম্পর্কিত এবং যাঁদের স্বাস্থ্য ভালো, তাঁদের মধ্যে যৌন সম্পর্কের হারও বেশি।<ref name="Lindau2010">Lindau, S. T., and N. Gavrilova. 2010. “Sex, health, and years of sexually active life gained due to good health: evidence from two US population based cross sectional surveys of ageing.” BMJ 340:c810-c810.</ref> এক গবেষণায় দেখা গেছে, ৭৫ থেকে ৮৫ বছর বয়সীদের মধ্যে ৩৮.৯ শতাংশ পুরুষ এবং ১৬.৮ শতাংশ নারী যৌনভাবে সক্রিয়। আর এটা সরাসরি স্বাস্থ্যর সাথে সম্পর্কযুক্ত। যাঁদের স্বাস্থ্য ভালো, তাঁদের যৌন আগ্রহ ও কার্যকলাপও বেশি।<ref name="Lindau2010"/> ঐ একই গবেষণায় দেখা গেছে, ৩০ বছর বয়সীদের যৌনভাবে সক্রিয় জীবনের গড় বছর পুরুষদের ক্ষেত্রে ৩৪.৭ বছর এবং নারীদের ক্ষেত্রে ৩০.৭ বছর। পুরুষেরা যৌনে বেশি আগ্রহ দেখান এবং নারীদের তুলনায় বেশি যৌন সম্পর্ক করেন।<ref name="Lindau2010"/> যারা নিয়মিত যৌনসম্পর্কে লিপ্ত, তারা কাজেও বেশি মনোযোগী এবং খুশি থাকেন, বিশেষ করে যৌন সম্পর্কের পরের দিন।<ref name="Leavitt2017">Keith Leavitt et al, From the Bedroom to the Office, Journal of Management (2017).</ref>
২০১৭ সালে প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, আমেরিকানরা এখন আগের তুলনায় কম যৌনসম্পর্কে লিপ্ত হন। ২০০০-এর দশকের গোড়া ও ৯০-এর দশকের তুলনায় এটা অনেক কম।<ref name="Twenge2017">Jean M. Twenge et al, Declines in Sexual Frequency among American Adults, 1989–2014, Archives of Sexual Behavior (2017).</ref> যৌনতা হ্রাসের নির্দিষ্ট কোনো কারণ জানা না গেলেও, এর একটি কারণ হলো নিয়মিত যৌন সঙ্গীর অভাব। আরেকটি কারণ হলো বয়সভেদে যৌনতা কমে যাওয়া। ২০ বছর বয়সীরা বছরে ৮০ বারের বেশি যৌন সম্পর্ক করে, যেখানে ৬৫ বছর বয়সীদের ক্ষেত্রে এই সংখ্যা মাত্র ২০ বার।<ref name="Twenge2017"/>
কিছু জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি যৌন আনন্দ হ্রাস করতে পারে। যারা কনডম ও হরমোনজনিত জন্মনিয়ন্ত্রণ একসাথে ব্যবহার করেন, তাদের যৌন সন্তুষ্টি সর্বোচ্চ। আর যারা শুধু কনডম ব্যবহার করেন, তাদের সন্তুষ্টি সর্বনিম্ন।<ref name="Higgins2008">Higgins, J.A., S. Hoffman, C.A. Graham, and S.A. Sanders. 2008. “Relationships between condoms, hormonal methods, and sexual pleasure and satisfaction: an exploratory analysis from the Women’s Well-Being and Sexuality Study.” Sex. Health 5:321-330.</ref> যদিও বিভিন্ন জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে, তবে একটি বহুল প্রচলিত অভিযোগ - জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি খেলে ওজন বেড়ে যায় - এখন অবৈজ্ঞানিক বলে মনে করা হচ্ছে।<ref name="Edelman2011">Edelman, A., J.T. Jensen, M. Bulechowsky, and J. Cameron. 2011. “Combined oral contraceptives and body weight: do oral contraceptives cause weight gain? A primate model.” Human Reproduction 26:330-336.</ref> বাস্তবে, উল্টোটা ঘটতে পারে। এই বড়ি ব্যবহারে মৌলিক বিপাক হার (basal metabolic rate) বেড়ে যেতে পারে (বানরের ক্ষেত্রে), যা ওজন হ্রাসে সাহায্য করতে পারে।<ref name="Edelman2011"/>
কিছু নারী (পুরুষদের নিয়ে যথেষ্ট গবেষণা নেই) যৌন সম্পর্কের পর "postcoital dysphoria" নামে পরিচিত এক ধরনের নেতিবাচক অনুভূতির শিকার হন, যদিও সম্পর্কটি সন্তোষজনক হয়।<ref name="Bird2011">Bird, Brian S., Robert D. Schweitzer, and Donald S. Strassberg. 2011. “The Prevalence and Correlates of Postcoital Dysphoria in Women.” International Journal of Sexual Health 23(1):14–25.</ref> কেন কিছু নারী এই অনুভূতি অনুভব করেন, তা পরিষ্কার নয়। তবে এক গবেষণায় দেখা গেছে, প্রায় ১০ শতাংশ নারী প্রায়শই বা নিয়মিতভাবে এই অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হন (প্রায় এক-তৃতীয়াংশ নারী কখনো না কখনো এই অনুভূতি অনুভব করেছেন)।
==যৌনকার্য==
যৌনকার্যের অনেক রূপ আছে। কলেজের ফিল্ম শিল্প থেকে বণ্যাবৃত্তি—সবই এর মধ্যে পড়ে।
বণ্যাবৃত্তি নিয়ে সাধারণ ধারণা হলো এটি “অপরিসীম মন্দ” এবং নারীদের ওপর এটি নিপীড়নমূলক।<ref name="weitzer2007">weitzer, ronald. 2007. “prostitution: facts and fictions.” Contexts 6:28-33.</ref> কিছু ক্ষেত্রে এই ধারণা ঠিক হতে পারে। তবে অধিকাংশ বণ্যাবৃত্তির ক্ষেত্রেই তা প্রযোজ্য নয়। এমনকি যেখানে আইনত এটি বৈধ, সেখানে ব্যাপারগুলি সম্পূর্ণ আলাদা। যারা “নিপীড়নমূলক মডেল” বিশ্বাস করে, তারা বলেন অধিকাংশ বণ্যপ্রসূ নারী শৈশবে যৌন নিপীড়নের শিকার, তাদের চাপ প্রয়োগ করে এ পথে প্রবেশ করানো হয়েছে অল্পবয়সে, তারা পাচারকারীদের নিয়ন্ত্রিত, তারা ড্রাগ-পান, সহিংস আচরণের শিকার, কাজের পরিবেশ ভয়াবহ, এবং আইনত বৈধ হলে অবস্থা আরও খারাপ হবে।<ref name="weitzer2007"/> অন্যদিকে, যারা শৈশবে যৌন আঘাত পেয়েছে, তারা ট্রানজ্যাকশনারি যৌনকে ক্ষমতা ফিরে পাওয়ার পথ হিসেবে দেখতে পারে। কারণ তারা নিজে চুক্তি না করলে তা রোখার অধিকার রাখে। “নিপীড়নমূলক মডেল” ধারণা মূলত মিডিয়ায় প্রচারিত অতিরঞ্জিত ঘটনাগুলোর ওপর ভিত্তি করে এবং Straßen (রাস্তার) বণ্যাবৃত্তির ওপর যা দৃষ্টি বেশি, যা ভিতরে বা অন্য মাধ্যমে পরিচালিত কাজের সঙ্গে তুলনীয় নয়। রাস্তার বণ্যপ্রসূদের ২৭% assaulted, ৩৭% লুটপাট ও ২২% ধর্ষণের শিকার।<ref name="weitzer2007"/> তবে অনেকেই পাচারের হাত থেকে আসেননি, কমই কেউ শুরু করেছিলেন ১৬ বছর বয়সের আগে, এবং যদিও কেউ ড্রাগ সেবী তো HIV/AIDS-র ঝুঁকি বেশি, না হলে তাদের ঝুঁকি কম। ছোট বেলায় যৌন নিপীড়নের প্রমাণও খুব সীমিত। তবে যুক্তরাষ্ট্রে মাত্র ২০% বণ্যপ্রসূ রোগীরা রাস্তার পথে কাজ করেন,<ref name="weitzer2007"/> বাকিরা গোপনে ক্লায়েন্টদের সাথে দেখা করেন, অনলাইনে, ম্যাগাজিন/পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের মাধ্যমেও ক্লায়েন্ট পান বা এস্কোর্ট қызметে নিয়োজিত।
বাকি ৮০% বণ্যপ্রসূদের কাজের পরিবেশ কেমন? তারা নিরাপদ পরিবেশে কাজ করে—১% assaulted, ২% ধর্ষণের শিকার, ১০% লুটপাটের বলি।<ref name="weitzer2007"/> শারীরিক স্বাস্থ্য, আত্মসম্মান, মানসিক সুস্থতা ও সামাজিক যোগাযোগের মান। তারা একদম সাধারণ নারীদের মতো। অনেকেই তাঁদের পেশায় শক্তিশালী বোধ করেন। এবং যেসব দেশে বণ্যাবৃত্তি বৈধ, সেখানে এরা আরও স্বাস্থ্যবান, নিরাপদ ও কর্মে সন্তুষ্ট থাকে।<ref name="weitzer2007"/>
দূঃসাহসিক হলেও, প্রায় ৫০% আমেরিকান বণ্যাবৃত্তিকে বৈধ করতে চান।<ref name="weitzer2007"/> যেখানে এটি বৈধ বা ডিক্রিমিনালাইজ করা হয়, যৌনকর্মীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অপরাধ তদন্তে সহযোগিতা করেন—যা দণ্ডিত হওয়ার আশঙ্কায় সাধারনত তারা করেন না। আমেরিকান পুরুষদের প্রায় ১৭% একবার বা একাধিকবার বন্যাানুষ্ঠানে অর্থ দিয়ে যৌনসেবা নিয়েছেন।<ref name="weitzer2007"/>
==যৌন অভিমুখ বা পরিচয়==
'''যৌন অভিমুখ''' হলো কারো প্রতি সৌন্দর্য, রোমান্টিক বা যৌন আকর্ষণের নির্দিষ্ট ধারা—পুরুষ, নারী, উভয়, নেই কোনটাই, অথবা অন্য কোনো লিঙ্গ হতে পারে। আমেরিকান সাইকোলজিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের মতে, অভিমুখ মানুষের ব্যক্তিগত ও সামাজিক পরিচয়ের অংশ, যা আকর্ষণ, নিয়ে আচরণ প্রকাশ ও সেই সমুদায়ে অন্তর্ভুক্তির ভিত্তিতে তৈরি হয়।<ref name="brief">APA California Amicus Brief</ref> সাধারণভাবে ‘বৈরেলিঙ্গ’, ‘সমলিঙ্গ’, ‘উভয়লিঙ্গ’ এই তিন বিভাগে তা ভাগ করা হয়ে থাকে। তবে কেউ কেউ ‘এজেক্স’ বা লেবেল নাও ব্যবহার করে।<ref name="American Psychological Association">American Psychological Association...</ref> এই অভিমুখগুলো একটি লিনিয়ার কন্টিনিউয়ামে অবস্থান করে — একপ্রান্ত একদম বৈরেলিঙ্গ, অন্যপ্রান্ত একদম সমলিঙ্গ, মাঝখানে রয়েছে বিভিন্ন রকমের উভয়লিঙ্গ। তবে সবাই এই কন্টিনিউয়ামে নিজেকে ফিট করতে পারে না। কারোরা নিজেকে অযৌন (asexual) বলেও চিহ্নিত করেন। অনেক যৌনবিজ্ঞানী এটিকে একটা অত্যন্ত সরলীকৃত ধারণা মনে করেন এবং আরও সূক্ষ্ম পরিচয়ের প্রয়োজনে গুরুত্ব দেন।<ref>Planned Parenthood...</ref>
অভিমুখ সম্পর্কে প্রায় সব সংজ্ঞাতেই মনস্তাত্ত্বিক এবং/অথবা স্ববৃত্তিমূলক উপাদান থাকে—যেমন কার সাথে যৌন ইচ্ছা বা কার সাথে বাস্তব যৌনসম্পর্ক। কেউ কেউ মনে করেন ব্যক্তির নিজের বিচারের ওপর নির্ভর করাই যথেষ্ট।
যৌনবিজ্ঞান, জনসংখ্যাবিজ্ঞান আর ইতিহাসের কিছু গবেষকের মতে, বৈরেলিঙ্গ বা সমলিঙ্গ κοινων সবার জন্য নয়। অনেক সমাজ সম্যকভাবে বিবেচনা করে বয়স, সামাজিক ভূমিকা বা স্তরের ভিত্তিতেও।
'''যৌন পরিচয়''' বলতে বোঝানো হয় ব্যক্তির নিজের লিঙ্গ বা পরিচয়ের ধারণা, যা যৌন অভিমুখ থেকে আলাদা। ‘যৌন পছন্দ’ (‘sexual preference’) শব্দটি অভিমুখের মতো, তবে বৈজ্ঞানিক জায়গায় ‘অভিমুখ’ শব্দ বেশি ব্যবহৃত।
যৌন অভিমুখ পশ্চিমা ইন্ডাস্ট্রিয়াল সমাজে উন্নত হয়। এর বৈশ্বিক প্রয়োগ নিয়ে বিতর্ক আছে।<ref>Diamant & McAnulty</ref> যেমন ফুকো বলেন, “‘যৌনতা’ আধুনিক রাষ্ট্র, শিল্প বিপ্লব আর পুঁজিবাদের আবিষ্কার।”<ref>Chinese Femininities...</ref>
'''যৌন সংখ্যালঘু''' বলতে বোঝায়—সমলিঙ্গ, উভয়লিঙ্গ ও অযৌন ব্যক্তিদের। এই গ্রুপের মানসিক স্বাস্থ্য বা মাদকের চিকিৎসার চাহিদা সরলৈঙ্গের তুলনায় দ্বিগুণ।<ref name="Grella2009">Grella et al., 2009</ref> সমলিঙ্গ/উভয়লিঙ্গদের ৪৮.৫% গত বছরে মানসিক চিকিৎসা নিয়েছেন, যেখানে বৈরেলিঙ্গদের ২২.৫%।<ref name="Mustanski2010">Mustanski et al., 2010</ref> LGBT তরুণদের মধ্যে ৩০% মানসিক সমস্যায় ভুগে, যদিও ৭০% ঠিক আছে। ১০% PTSD-তে ভুগে, ১৫% বাৎসরিক বিষণ্ণতায় আক্রান্ত এবং এক-তৃতীয়াংশ আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে। এসব হার শহুরে ও সংখ্যালঘু তরুণদের মতো। এই সমস্যার মূল কারণ—অভিমুখের ভিত্তিতে অবিচার ও বৈষম্য। গত ৪০ বছরে আমেরিকানদের মধ্যে সমলিঙ্গ সম্পর্ক মেনে নেওয়া বাড়ছে। অনেকেই সমলিঙ্গ বিয়ের কিংবা নাগরিক অংশীদারিত্বের অধিকার চান।<ref name="Goldberg2006">Goldberg, 2006</ref>
প্রায় ২৫% সমলিঙ্গ কিশোর ও ১৫% উভয়লিঙ্গ কিশোর নিঃস্ব থাকে, যেখানে বৈরেলিঙ্গদের মাত্র ৩%। এছাড়া, এদের অধিকাংশই অভিভাবকদের সঙ্গে নয়।<ref name="Corliss2011">Corliss et al., 2011</ref>
ক্যালিফোর্নিয়ায় সমলিঙ্গ নারীদের অংশীদারি হার ও বৈরেলিঙ্গ নারীদের মতোই; কিন্তু পুরুষদের ক্ষেত্রে সমলিঙ্গ পুরুষদের তুলনামূলক অংশীদারি কম।<ref name="Carpenter2008">Carpenter & Gates, 2008</ref>
আজ পর্যন্ত এমন কোনো প্রমাণ নেই যে কারোর অভিমুখ পরিবর্তন সম্ভব।<ref name="Goldberg2006"/> বরং এমন প্রচেষ্টা হতাশা, উদ্বেগ এবং আত্ম-ধ্বংসী প্রবণতা বাড়াতে পারে।<ref name="Goldberg2006"/>
==যৌনতা এবং রাজনীতি==
==যৌনতা এবং ধর্ম==
==যৌন নির্যাতন==
যৌন নির্যাতনের একটি ধরন হলো ধর্ষণ। এটি অনেক বেশি প্রচলিত, যতটা মানুষ সাধারণত মনে করে না। জাতিসংঘের জন্য গবেষণা করা কিছু গবেষক এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ধর্ষণের ওপর একটি রিপোর্ট তৈরি করেছেন। সেই গবেষণায় দেখা গেছে, ধর্ষণের হার দেশভেদে ভিন্ন।<ref name="Fulu2013">Fulu, Emma et al. 2013. Why Do Some Men Use Violence against Women and How Can We Prevent It? Quantitative Findings from the United Nations Multi-Country Study on Men and Violence in Asian and the Pacific. Bangkok: UNDP, UNFPA, Un Women, and UNV. Retrieved (http://countryoffice.unfpa.org/timor-leste/drive/p4p-report.pdf).</ref> পাপুয়া নিউ গিনিতে প্রায় ৬০% পুরুষ কোনো নারীকে জোরপূর্বক যৌনসম্পর্কে বাধ্য করেছে। আর কাম্বোডিয়ায় এ হার ১০%-এর নিচে। সামগ্রিকভাবে, প্রায় প্রতি ৪ জন পুরুষের মধ্যে ১ জন কোনো না কোনো সময় একজন নারীকে জোর করে যৌনসম্পর্কে বাধ্য করেছে।<ref name="Fulu2013"/> বিশ্বব্যাপী প্রতি ১০ জন ২০ বছরের কম বয়সী মেয়ের মধ্যে ১ জন ধর্ষণ বা যৌন নিপীড়নের শিকার হয়।<ref name="UNICEF2014">Hidden in Plain Sight: A Statistical Analysis of Violence Against Children. Retrieved (http://www.unicef.org/publications/files/Hidden_in_plain_sight_statistical_analysis_EN_3_Sept_2014.pdf).</ref>
যুক্তরাষ্ট্রে করা গবেষণা থেকে জানা গেছে, কলেজ ক্যাম্পাসে যৌন নির্যাতন বেশ উদ্বেগজনক হারে ঘটে। তবে যেসব তরুণ-তরুণী কলেজে পড়ে না, তাদের ক্ষেত্রে যৌন নির্যাতনের ঝুঁকি আরও বেশি। খুব কম অথবা একেবারেই কলেজে না যাওয়া নারীরা যৌন নির্যাতন বা জোরপূর্বক যৌনসম্পর্কের শিকার হওয়ার আশঙ্কায় ২.৫ গুণ বেশি। আর পুরুষদের ক্ষেত্রে এই হার প্রায় ৪ গুণ বেশি।<ref name="Axinn2017">William George Axinn et al. General population estimates of the association between college experience and the odds of forced intercourse, Social Science Research (2017). DOI: 10.1016/j.ssresearch.2017.10.006</ref>
যৌন নির্যাতনের পেছনে যেসব কারণ কাজ করে, তার মধ্যে একটি হলো মানুষকে যৌন বস্তু হিসেবে দেখা। অর্থাৎ কাউকে ব্যক্তি হিসেবে না দেখে কেবল যৌনতার দৃষ্টিতে দেখা।<ref name="Gervais2013">Gervais, Sarah J., Arianne M. Holland, and Michael D. Dodd. 2013. “My Eyes Are Up Here: The Nature of the Objectifying Gaze Toward Women.” Sex Roles 69(11-12):557–70.</ref> সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, নারীদের যৌন বস্তু হিসেবে দেখার প্রবণতা খুব সাধারণ। অন্তত কলেজ ক্যাম্পাসে এমনটা প্রায়ই ঘটে। নারী যখন কারও সঙ্গে কথা বলে, তখন অনেক সময় মানুষ তার চোখের দিকে না তাকিয়ে স্তনের দিকে তাকায়।<ref name="Gervais2013"/> বড় স্তনের নারীদের ক্ষেত্রে এই ঘটনা আরও বেশি ঘটে। তবে গবেষণায় একটি চমকপ্রদ তথ্য পাওয়া গেছে—নারীদের স্তনের দিকে শুধু পুরুষই তাকান না, নারীরাও তাকান। তবে তাদের কারণ ভিন্ন। পুরুষরা তাকায় যৌনভাবে, কিন্তু নারীরা তাকান নিজেদের সঙ্গে তুলনা করার মানসিকতা থেকে। অর্থাৎ নারীরাও নিজের শরীরকে যৌন বস্তু হিসেবে ভাবতে ভাবতে নিজেরাই পরোক্ষভাবে নিজেদের যৌন বস্তুকরণে ভূমিকা রাখে।<ref name="Gervais2013"/>
পুরুষদের ক্ষেত্রে যৌন নির্যাতনের ঝুঁকি বাড়ায় এমন একটি বড় কারণ হলো শৈশবে শারীরিক বা যৌন নির্যাতনের অভিজ্ঞতা। যারা ছোটবেলায় এমন নির্যাতনের শিকার হয়েছে, তারা অন্যদের তুলনায় ৪.৫ গুণ বেশি যৌনভাবে জবরদস্তিমূলক আচরণ করে থাকে।<ref name="Casey2009">Casey, Erin A., Blair Beadnell, and Taryn P. Lindhorst. 2009. “Predictors of Sexually Coercive Behavior in a Nationally Representative Sample of Adolescent Males.” J Interpers Violence 24:1129-1147.</ref> তবে এমন আচরণকারী পুরুষদের অর্ধেকেরও বেশি কোনো ধরনের শৈশবকালীন যৌন নির্যাতনের শিকার ছিল না।<ref name="Casey2009"/>
==তথ্যসূত্র==
{{reflist}}
==বহিঃসংযোগ==
* [http://sexology.it/glossario_sessuologia.html Glossary of clinical sexology]
{{BookCat}}
qmmgva5ns7tuwmvnro531ybqk3l6tiz
সবকিছুর জন্যেই ইন্টারনেট?/দৈনন্দিন জীবনে জ্ঞান ও উপাত্তের প্রবেশাধিকার
0
23746
85822
83917
2025-07-08T05:43:46Z
MS Sakib
6561
85822
wikitext
text/x-wiki
ইয়োচাই বেঙ্কলার তার ''ওয়েলথ অফ নেটওয়ার্কস'' গ্রন্থে যুক্তি দেন, মিডিয়া যোগাযোগের তিনটি স্তর রয়েছে, যথা: ভৌত স্তর, লজিক্যাল এবং বিষয়বস্তু স্তর। ভৌত স্তরে রয়েছে আমাদের ব্যবহৃত ডিভাইস। এর মধ্যে রয়েছে আইফোন, গেম কনসোল, কম্পিউটার, টেলিভিশন এবং নেটওয়ার্ক / ওয়্যারলেস লিঙ্কসমূহ। নেটওয়ার্ক লিংকগুলো সাধারণ ডিভাইসের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করে। লজিক্যাল লেয়ারে আপনার কাছে এমন সফটওয়্যার এবং যোগাযোগের মান রয়েছে যা ডিভাইস এবং তাদের ব্যবহারকারীদের মধ্যে সংযোগ সক্ষম করে। বিষয়বস্তু স্তরে সফটওয়্যার নয় তবে ধারণা, বার্তা, তথ্য এবং বিনোদন রয়েছে। এগুলো আমরা ''ভাগাভাগি'' করি। তিনি যুক্তি দেন, এই স্তরগুলোর প্রত্যেকটি তথ্যে অ্যাক্সেসকে উত্সাহিত করতে পারে। ভৌতভাবে উন্মুক্ত ওয়্যারলেস নেটওয়ার্ক এবং বৃহত্তর তারযুক্ত ক্ষমতা রয়েছে। এটি অনেক লোকের জন্য অ্যাক্সেসের বৃহত্তর ভৌত পরিসীমা সহজতর করে। লজিক্যাল লেয়ারটিতে ওপেন সোর্স সফটওয়্যার এবং পিয়ার টু পিয়ার ফাইল শেয়ারিং নেটওয়ার্কের মতো অনেক নতুন উন্নয়ন হয়েছে। এখানে লোকেরা কেবল একটি বোতামের ক্লিকের মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন ব্যবহারকারীর বিভিন্ন তথ্য অ্যাক্সেস এবং ম্যানিপুলেট করতে পারে। বিষয়বস্তু স্তরে আমাদের ক্রিয়েটিভ কমন্স লাইসেন্স এবং উইকিপিডিয়ার মতো উন্মুক্ত প্রকল্প রয়েছে, যেখানে ধারণা এবং সৃজনশীল চিন্তাভাবনা সকলের উপকারের জন্য প্রবাহিত হতে পারে।<ref name="Benkler">Benkler, Y. ''The Wealth of Networks''. New Haven: Yale University Press (2006), pp. 384-385</ref>
তবে বেঙ্কলার আরও দাবি করেছেন, এই অ্যাক্সেসটি অবরুদ্ধ এবং সীমাবদ্ধ করা যেতে পারে। ভৌত স্তরে আমাদের কাছে নেটওয়ার্ক অপারেটর রয়েছে। কীভাবে ডেটা প্রবাহিত হতে পারে এবং সামগ্রী অ্যাক্সেস করা যায় সে সম্পর্কে বিভিন্ন আইন এবং আইন প্রবর্তন করে তারা তাদের বাণিজ্যিক সুবিধা সর্বাধিক করার চেষ্টা করে। লজিক্যাল লেয়ারে বিভিন্ন মালিকানাধীন সফটওয়্যার রয়েছে, যেগুলো ব্যবহারকারীদের নিয়ন্ত্রণ ও সীমাবদ্ধ করে। এবং বিষয়বস্তু স্তরে রয়েছে কপিরাইট। এটি মানুষের ধারণাগুলোতে উন্মুক্ত প্রবেশাধিকারের কাজটিকে অপরাধতুল্য করে তোলে। এধরণের কপিরাইটযুক্ত বিষয়বস্তু সৃজনশীল স্বাধীনতার চেষ্টাকে শাস্তিযোগ্য করে তুলে।<ref name="Benkler" />
প্রতিদিনের জীবনে আমাদের জ্ঞান ও তথ্যের প্রতি উন্মুক্ত বা বন্ধ প্রবাহের সত্যিকারের উত্তর নেই। বরং এখানে একটি দেওয়া-নেওয়ার সম্পর্ক বিরাজমান। এখানে "বাণিজ্যিক সম্প্রসারণ এবং পরার্থপর উদ্ভাবন" উভয়ই রয়েছে।<ref>Meikle, G. and Young, S. ''Media Convergence: Networked Digital Media in Everyday Life'', New York: Palgrave Macmillan (2012), pp. 19-20</ref> ইন্টারনেটে এমন কিছু স্থান রয়েছে যা মুক্ত ও উন্মুক্ত প্রবাহে তথ্য পাওয়ার জন্য সহায়তা করলেও আপনি আগে কখনো দেখেননি। এর বিপরীতে ইন্টারনেটে এমন কিছু স্থানও রয়েছে যেখানে প্রতিটি তথ্য অর্থায়িত বা সীমাবদ্ধ। এবং এটি শুধু পশ্চিমা বিশ্বের মধ্যে—বিভিন্ন সংস্কৃতি বিভিন্ন ধরনের প্রবাহ নিয়ে আসে। নিচে আমরা একটি ছোট নমুনা নিয়ে আলোচনা ও তত্ত্ব করবো যে এটি একটি বৃহৎ বিতর্কের সময় দুইজনের মধ্যে চলছে যা যোগাযোগ প্রযুক্তির শুরু থেকেই শুরু হয়েছে এবং সম্ভবত আমরা ইন্টারনেটকে সম্পূর্ণভাবে অতিক্রম করার সাথে সঙ্গেই চলতে থাকবে।
== ভূমিকা ==
.{{Quote|text=''"মানুষের নৈতিক ও পারস্পরিক নির্দেশনা এবং তার অবস্থার উন্নতির জন্য এই ধারণাগুলো এক থেকে অন্য পৃথিবীতে অবাধে ছড়িয়ে পড়া উচিত বলে মনে হয়। প্রকৃতির দ্বারা অদ্ভুত এবং দয়ালুভাবে নকশা করা হয়েছে। সে তাদেরকে আগুনের মতো সমস্ত স্থান জুড়ে প্রসারিত করতে সক্ষম করে। কোনও পর্যায়ে তাদের ঘনত্ব হ্রাস করে না। যে বাতাসে আমরা শ্বাস নিই, চলাচল করি এবং আমাদের শারীরিক সত্তা ধারণ করি, তা বন্দি বা একচেটিয়াভাবে দখল করার অক্ষম।"'' |author=Thomas Jefferson|source=Napster Article}}বিজ্ঞানীদের মধ্যে সহযোগিতা সহজতর করার উদ্দেশ্যে বিশ্বের প্রথম কম্পিউটিং নেটওয়ার্কগুলো স্নায়ু যুদ্ধের সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।<ref name=":0">Meikle, G. and Young, S. ''Media Convergence: Networked Digital Media in Everyday Life'', New York: Palgrave Macmillan (2012), pp. 19-20</ref> তখন এবং এখনকার মধ্যে, অনেক কিছুই পরিবর্তিত হয়েছে এবং ২০১৫ সালে বিশ্বের জনসংখ্যার ৪৩.৪% ইন্টারনেটে অ্যাক্সেস পেয়েছে (উন্নত দেশগুলোতে ৮২.২%)।<ref name="BC2015">[http://www.broadbandcommission.org/Documents/publications/bb-annualreport2015-highlights.pdf Broadband Commission, 2015]</ref> ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব আমাদের দৈনন্দিন জীবনে তথ্যের প্রাথমিক উৎস হিসাবে দখল করে নিয়েছে। ফলে আগে জীবন কেমন ছিল তা কল্পনা করা শক্ত।
বিভিন্ন সংস্কৃতি ইন্টারনেটকে তার স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য দিয়েছে, যেমন বিকেন্দ্রীকরণ, নেটওয়ার্কিং প্রযুক্তি এবং একটি মডুলার কাঠামো। এই ধরনের সংস্কৃতির মধ্যে রয়েছে বিজ্ঞানী, হিপ্পি, কমিউনিটারিয়ান, রাজনৈতিক র্যাডিক্যাল, হ্যাকার, সরকারী কর্মচারী এবং শেষ পর্যন্ত বাণিজ্যিক বাজারের প্রভাব।<ref name=":0" /> তবে এর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য বছরের পর বছর ধরে পরিবর্তিত হয়নি। এটি হলো বিনামূল্যে অ্যাক্সেস। এটি ইন্টারনেটের সমস্ত ব্যবহারকারীর মধ্যে বিনামূল্যে তথ্য ভাগাভাগির ভিত্তি। এটি গণতান্ত্রিক সমাজের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মূল্য বহন করে। ফলে স্বচ্ছতা ও তথ্যের উন্মুক্ত অ্যাক্সেসের উপর নির্ভর করে উন্নতির করা যায়।<ref name="McCurdy2013">McCurdy, Brevini and Hintz, 2013</ref> ইন্টারনেটের রাজনৈতিক শক্তি স্পষ্ট হয় যখন প্রধানত কর্তৃত্ববাদী সরকার ইন্টারনেটের অ্যাক্সেস ব্লক করে দেয়।
প্রতিদিন আমরা যে তথ্য এবং তথ্যের জঞ্জাল অনুভব করি তার মধ্যে আমরা সহজেই ভুলে যাই যে খুব কম ভৌগোলিক সীমাবদ্ধতা সহ যেকোনো সময়, যেকোনো সময়ে এগুলো অ্যাক্সেস করতে পারা আমাদের জন্য কতটা সৌভাগ্যের। এই প্রবন্ধের প্রথম অংশে, আমরা ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবের মাধ্যমে বর্তমানে যে বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে তথ্য অ্যাক্সেস করছি তা বিস্তারিতভাবে বিবেচনা করার আগে, জ্ঞান এবং তথ্যের উন্মুক্ত অ্যাক্সেসের সুবিধা এবং অসুবিধাগুলির উপর মনোনিবেশ করব:
* আমরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধ অ্যাক্সেসের বিষয়টি দেখব। অ্যাক্সেস সীমাবদ্ধ করার একটি উপায় হল নগদীকরণ/বাণিজ্যিক অ্যাক্সেসের মাধ্যমে, যেখানে ইন্টারনেট ব্যবহারের মাধ্যমে মানুষের অর্থ উপার্জন করা হচ্ছে।
* তথ্যে সীমাহীন প্রবেশাধিকার কীভাবে আমাদের সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং অন্যদের মধ্যে মিথস্ক্রিয়াকে প্রভাবিত করেছে তা আমরা দেখব।
* আমরা অনলাইনে সীমাবদ্ধ তথ্যে অবৈধ প্রবেশাধিকার অর্জনের বিভিন্ন অনুশীলন, এই তথ্যগুলো কীভাবে ব্যবহার করা হয় এবং এই জাতীয় অবৈধ ক্রিয়াকলাপগুলো তাদের সাথে কী প্রভাব ফেলে তা বিবেচনা করব।
* আমরা আরও পরীক্ষা করব যে ইন্টারনেটে অ্যাক্সেস সেই জাতির মধ্যে জাতি এবং সংস্কৃতির উপর নির্ভর করে কীভাবে পরিবর্তিত হয়।
* আমরা বিবেচনা করব যে গুগলের মতো সার্চ ইঞ্জিনগুলো কীভাবে আমাদের তথ্যে অ্যাক্সেসকে সংগঠিত করে এবং এটি করার মাধ্যমে আমরা যা প্রাসঙ্গিক বা সঠিক হিসাবে উপলব্ধি করি তা প্রভাবিত করে।
* আমরা বিবেচনা করব কিভাবে ওয়েব ২.০ সাধারণ মানুষকে ইন্টারনেটের মাধ্যমে তাদের জ্ঞান তৈরি এবং ভাগ করে নিতে সক্ষম করেছে।
== মূল ধারণা ==
=== প্রবেশাধিকার সংজ্ঞা ===
==== প্রযুক্তি ====
আমরা এমন এক যুগে বাস করছি যেখানে প্রযুক্তি এত উন্নত যে এখন অনেক ধরণের ডিভাইস থেকেই আমরা ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারি। আমাদের কাছে ফোন, কম্পিউটার, ল্যাপটপ, আইপ্যাড এবং আরও অনেক কিছু আছে। ইন্টারনেট ব্যবহারের সবচেয়ে সাধারণ উপায় হল কম্পিউটার। কম্পিউটার আবিষ্কার করেছিলেন উনবিংশ শতাব্দীতে যান্ত্রিক প্রকৌশলী চার্লস ব্যাবেজ। শুরুতে কম্পিউটারই ছিল ইন্টারনেট ব্যবহারের একমাত্র উপায়। ফলে জ্ঞান এবং তথ্যে আমাদের অ্যাক্সেস সীমিত ছিল। কারণ কম্পিউটার কাছাকাছি থাকলেই কেবল আমরা ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারতাম। ১৯৮০-এর দশকে অ্যালান কে ল্যাপটপ তৈরি করেছিলেন। ল্যাপটপ হল পোর্টেবল কম্পিউটার যা আপনি আপনার সাথে যেকোনো জায়গায় নিয়ে যেতে পারেন। এর অর্থ হল মানুষের জন্য তথ্য অ্যাক্সেস করা সহজ। কারণ পোর্টেবল কম্পিউটার থাকার অর্থ ছিল মানুষ আর একটি অঞ্চলে সীমাবদ্ধ ছিল না। তারপর অবশ্যই আমাদের কাছে মোবাইল ফোন আছে, বিশেষ করে স্মার্ট ফোন। ১৯৭৩ সালে যখন মোবাইল ফোন প্রথম আবিষ্কৃত হয়েছিল তখন তারা এখনকার চেয়ে অনেক সহজ ছিল। ইন্টারনেট আসলে ১৯৮০-এর দশক পর্যন্ত আবিষ্কৃত হয়নি এবং ২০০০-এর দশকে মোবাইল ফোনের সাথে পরিচিত হয়েছিল। ওয়াই-ফাই (ওয়্যারলেস ইন্টারনেট) এর সাথে সংযোগ স্থাপনের পাশাপাশি, ২০০১ সালের মে মাসে [http://www.3g.co.uk/PR/Feb2012/3g-what-is-3g-explained-in-simple-terms.html 3G] আবিষ্কার এবং চালু হয়েছিল। 3G আপনাকে যতক্ষণ সিগন্যাল থাকবে ততক্ষণ ওয়্যারলেসভাবে ইন্টারনেট অ্যাক্সেস করার সুযোগ দেয়। এটি 'তৃতীয় প্রজন্ম' এর অর্থ কারণ এটি তৃতীয় ধরণের অ্যাক্সেস প্রযুক্তি মোবাইল ফোন সংযোগের জন্য ব্যাপকভাবে বাণিজ্যিকভাবে উপলব্ধ করা হয়েছে। আপনার মোবাইল ডিভাইসে 3G থাকার অর্থ হল আপনি যেখানেই যান ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবেন। এর অর্থ হল আপনি যখনই চান আপনার পছন্দের সমস্ত তথ্য অ্যাক্সেস করতে পারবেন। প্রযুক্তির আরও অগ্রগতির সাথে সাথে, ট্যাবলেট এবং আইপ্যাডও তৈরি হয়েছে। ট্যাবলেটগুলি মূলত কীবোর্ড-বিহীন নেটবুক। এগুলি টাচ স্ক্রিন ডিভাইস। গড় আইপ্যাডের আকার প্রায় ৯.৭ ইঞ্চি। এগুলি ইন্টারনেট অ্যাক্সেস করার জন্যও ব্যবহার করা যেতে পারে। এগুলি খুব দ্রুত এবং ব্যবহার করা সহজ এবং আপনাকে অফুরন্ত পরিমাণে ডেটা এবং জ্ঞান অ্যাক্সেস করার সুযোগ দেয় বলে দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এতগুলি বিভিন্ন ডিভাইসের মাধ্যমে আমরা ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব এবং অন্যান্য ধরণের তথ্য অ্যাক্সেস করতে পারি, আমাদের অফুরন্ত সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা প্রায় যখনই চাই ইন্টারনেট অ্যাক্সেস করতে পারি।
=== ওয়েব অ্যাক্সেসের প্রকারভেদ ===
ইন্টারনেট অ্যাক্সেস ব্যক্তিদের বিভিন্ন কম্পিউটার ডিভাইস ব্যবহার করে ইন্টারনেটে সংযোগ করতে দেয়। একবার ব্যবহারকারীরা ইন্টারনেটে সংযুক্ত হয়ে গেলে তারা ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব, ইমেল এবং নির্দিষ্ট অ্যাপ্লিকেশনগুলোতে অ্যাক্সেস করতে সক্ষম হয়। ওয়েব অ্যাক্সেস করার অনেকগুলো উপায় রয়েছে, আমাদের ব্রডব্যান্ড, ওয়্যারলেস, স্যাটেলাইট, ডায়াল-আপ এবং আরও লোড রয়েছে। এগুলো নিশ্চিত করে যে জনসাধারণ বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ওয়েবে অ্যাক্সেস করতে পারে এবং আবার প্রযুক্তির পরিবর্তনের সাথে এটি করা এখন সহজ হয়ে উঠেছে। ব্যবহারকারীরা প্রথম ১৯৯০ এর দশকে ডায়াল-আপ ব্যবহারের মাধ্যমে ইন্টারনেটে সংযোগ করতে সক্ষম হয়েছিল তবে বছরের পর বছর ধরে অগ্রগতির সাথে ব্যক্তিরা এখন উপগ্রহের মাধ্যমে অ্যাক্সেস করতে সক্ষম হয় এবং লোকেরা বেতার সংযোগের মাধ্যমেও অ্যাক্সেস পেতে পারে। বছরের পর বছর ধরে অগ্রগতিগুলো খুব দ্রুত ঘটতে সক্ষম হয়েছিল এবং ২০১৪ সালের হিসাবে, ব্রডব্যান্ড সারা বিশ্বে প্রচুর পরিমাণে ছিল, বিশ্বব্যাপী গড় সংযোগের গতি ৪ এমবিট ছাড়িয়ে গেছে।
ইন্টারনেট অ্যাক্সেসের মাধ্যমে ব্যক্তি বিভিন্ন কম্পিউটার ডিভাইস ব্যবহার করে ইন্টারনেটের সাথে সংযোগ স্থাপন করতে পারে। ব্যবহারকারীরা ইন্টারনেটের সাথে সংযুক্ত হয়ে গেলে তারা [[w:ওয়ার্ল্ড_ওয়াইড_ওয়েব|ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব]], [[w:ইমেইল|ইমেল]] এবং নির্দিষ্ট কিছু অ্যাপ অ্যাক্সেস করতে সক্ষম হয়। ওয়েব অ্যাক্সেস করার অনেক উপায় আছে। আমাদের কাছে ব্রডব্যান্ড, ওয়্যারলেস, স্যাটেলাইট, ডায়াল-আপ এবং আরও অনেক কিছু রয়েছে। এগুলি নিশ্চিত করে যে জনসাধারণ বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ওয়েব অ্যাক্সেস করতে পারে। আবার প্রযুক্তির পরিবর্তনের সাথে সাথে এটি করা এখন সহজ হয়ে গেছে। ব্যবহারকারীরা প্রথমে ১৯৯০ এর দশকে ডায়াল-আপ ব্যবহারের মাধ্যমে ইন্টারনেটের সাথে সংযোগ স্থাপন করতে পারত। কিন্তু বছরের পর বছর ধরে অগ্রগতির সাথে সাথে মানুষ এখন স্যাটেলাইটের মাধ্যমে অ্যাক্সেস করতে সক্ষম এবং লোকেরা ওয়্যারলেস সংযোগের মাধ্যমেও অ্যাক্সেস পেতে পারে। বছরের পর বছর ধরে অগ্রগতি খুব দ্রুত ঘটতে সক্ষম হয়। ২০১৪ সাল পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে প্রচুর পরিমাণে ব্রডব্যান্ড সংযোগ ছিল। সেসময়ের হিসেবে বিশ্বব্যাপী গড় সংযোগ গতি ৪ Mbits ছাড়িয়ে গেছে।<ref>"Akamai Releases Second Quarter 2014 ‘State of the Internet' Report". Akamai. 30 September 2014. Retrieved 11 October 2014.</ref>
* '''ডায়াল-আপ'''
[http://www.makeuseof.com/tag/types-of-internet-access-technologies-explained-and-what-you-should-expect/ ডায়াল-আপ] থেকেই সবকিছু শুরু হয়। এটিই প্রথম ওয়েব অ্যাক্সেস করার একমাত্র উপায় ছিল। পিসিতে সংযুক্ত একটি PCI মডেম ব্যবহার করে ব্যবহারকারীরা যখন কম্পিউটার আপনার ISP দ্বারা প্রদত্ত একটি ফোন নম্বর ডায়াল করে নেটওয়ার্কের সাথে সংযোগ স্থাপন করে তখন ইন্টারনেটের সাথে সংযোগ স্থাপন করে। তখন একটি অ্যানালগ পাবলিক টেলিফোনের মাধ্যমে ডেটা প্রেরণ করা হতো। মডেম প্রাপ্ত অ্যানালগ ডেটাকে ডিজিটালে রূপান্তর করে। এখান থেকেই সবকিছু শুরু হওয়ার ফলে এধরণের সংযোগটি ভাল ছিল না। তাই এটি সর্বদা কাজ করত না। ডায়াল-আপ এখন আর ব্যবহার করা হয় না।
* '''ব্রডব্যান্ড এবং আইএসডিএন'''
ইন্টিগ্রেটেড সার্ভিসেস ডিজিটাল নেটওয়ার্ক (আইএসডিএন) ডিজিটাল টেলিফোন লাইন বা সাধারণ টেলিফোন তারের মাধ্যমে ভয়েস, ভিডিও এবং ডেটা প্রেরণের জন্য আন্তর্জাতিক যোগাযোগের মান। ব্রডব্যান্ড আইএসডিএন খুব অনুরূপ কিন্তু এটি ফাইবার অপটিক টেলিফোন লাইনের উপর তথ্য স্থানান্তর করে। সিগন্যালটি আপনার বাড়িতে আসা বিদ্যুতের লাইনের উপর দিয়ে যায়।
* '''ওয়্যারলেস ব্রডব্যান্ড'''
আইএসপি তারযুক্ত সংযোগের মাধ্যমে ইন্টারনেটের সাথে সংযোগ স্থাপন করে এবং রেডিও তরঙ্গের মাধ্যমে এই সংযোগটি সম্প্রচার করে। আইএসপি এক ধরণের অ্যান্টেনার সাথে যোগাযোগ করে এবং এটি আপনাকে ইন্টারনেট অ্যাক্সেস করতে দেয়। আইএসপি এত উচ্চ শক্তির সাথে সম্প্রচার করে এবং এর ফলে সংকেতটি আরও ভ্রমণ করে। এটি ওয়েব অ্যাক্সেসের একটি খুব জনপ্রিয় রূপ কারণ এতে কোনও তারের জড়িত নেই। যদিও এটি সংযোগটি ধীর করতে পারে কারণ সংকেতগুলো সর্বদা তারের মাধ্যমে অনেক দ্রুত ভ্রমণ করে।
* '''স্যাটেলাইট'''
এর মধ্যে একটি স্যাটেলাইট ডিশের মাধ্যমে ইন্টারনেট অ্যাক্সেস পাওয়া জড়িত। সংকেতগুলো উপগ্রহে প্রেরণ করা হয় এবং এই সংকেতগুলো ওয়েবে অ্যাক্সেসের জন্য আপনার কাছে প্রেরণ করা হয়। এটি কিছুটা ধীর হতে পারে তবে অ্যাক্সেস পাওয়ার জন্য স্যাটেলাইট ডিশের আকাশে উপগ্রহের দিকে একটি স্পষ্ট কোণ থাকা দরকার। যদি আপনার এলাকার অন্যান্য লোকেরাও স্যাটেলাইট ডিশ ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নেয় তবে সিগন্যালগুলো অ্যাক্সেস করার জন্য একটি প্রতিযোগিতা হবে এবং ইন্টারনেট ধীর হয়ে যাবে।
==== উপাত্ত ====
'ডেটা' শব্দটি ল্যাটিন শব্দ 'ডেটাম' (datum) থেকে উদ্ভূত। এর অর্থ তথ্যের একটি অংশ। ডেটা হলো বিশ্বের সত্য, এবং লিখিত বা নোট নেওয়ার উপর নির্ভরশীল নয়।
===== জ্ঞান =====
জ্ঞান হল আমরা যা জানি, আমাদের বিশ্বের মানচিত্র। আপনি মস্তিষ্ক ছাড়া অন্য কোথাও জ্ঞান সঞ্চয় করতে পারবেন না। জ্ঞান, আমাদের বিশ্বাস এবং প্রত্যাশার পাশাপাশি আমরা জীবনের সিদ্ধান্তগুলো ভিত্তি করি।
===== তথ্য =====
তথ্য সংগ্রহ করা হয় তথ্য ও জ্ঞান। তথ্য হলো যা আমাদের জীবনে শিক্ষিত সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করতে পারে। এটি আমাদের নিজস্ব অভিজ্ঞতা বা অন্যের অভিজ্ঞতার গল্প থেকে অর্জন করা যেতে পারে।
==== তথ্য ও উপাত্তের মধ্যে পার্থক্য ====
তথ্য ও উপাত্তের মধ্যে পার্থক্য জানা জরুরি। উপাত্ত কখনো ভুল হয় না, সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তন হতে পারে কিন্তু ডাটা ভুল হতে পারে না। অন্যদিকে তথ্য ভুলভাবে ডেটা ধারণ করতে পারে এবং তাই ভুলও হতে পারে। তথ্যও এক পর্যায়ে ডেটা ধারণ করে এবং যদি ডেটা পরিবর্তিত হয়, তবে তথ্যটি ভুল। এই বিষয়টি সম্পর্কে সতর্ক থাকা গুরুত্বপূর্ণ যে তথ্য সর্বদা বিদ্যমান ডেটার সঠিক উপস্থাপনা নয়।<ref>[http://www.infogineering.net/data-information-knowledge.htm Infogeneering: The Differences Between Data, Information and Knowledge]</ref>
== সীমাহীন অনলাইন তথ্যের সুবিধা ==
=== মতের এবং অভিমতের বহুত্ব ===
প্রথম বিশ্ব দেশগুলোতে ডেটাতে অবিচ্ছিন্ন প্রবেশাধিকারের কারণে (দেখুন "দেশগুলোর মধ্যে ইন্টারনেটের প্রবেশাধিকার"), একটি বহুবচন দৃষ্টিভঙ্গি উপস্থাপন করা হয় এবং এটি দেখা যে কেউ দেখতে চায়। এটি একটি আরো বিভিন্ন সংস্কৃতি তৈরি করে এবং সমস্ত বর্তমান মতামতের একটি ভাল উপস্থাপনা প্রদান করে, পাশাপাশি সবার নিজেদের মতামত শেয়ার করার ক্ষমতাও দেয়।
রসি যুক্তি দেন<ref>Rossi, 1980</ref> যে বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি একটি ইতিবাচক জিনিস, এবং বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গির লোকেদের মধ্যে প্রতিযোগিতা (যারা প্রমাণ দ্বারা সমর্থিত) উচ্চমানের গবেষণার দিকে পরিচালিত করে। যদি আমরা এটিকে সত্য বলে বিশ্বাস করি, তাহলে ইন্টারনেট ইতিবাচকতার একটি অমূল্য উৎস, যেখানে চলচ্চিত্র তারকা<ref>https://www.youtube.com/playlist?list=PLFWHlH4koGZDABLg4i81lswPJPHqLdKj7</ref> থেকে শুরু করে চকোলেট বার পর্যন্ত সবকিছু নিয়ে আলোচনা চলছে।<ref>http://www.seventypercent.com/forum/fine-chocolate-bar-discussion/</ref>
==== সমালোচনামূলক চিন্তাভাবনা ====
সমালোচনামূলক চিন্তাভাবনা হল সেই উপায় যার মাধ্যমে আমরা জানতে পারি কী বিশ্বাস করতে হবে, এবং কীভাবে আমরা প্রচুর পরিমাণে তথ্য ব্যবহার করে সুচিন্তিত সিদ্ধান্ত নিতে পারি<ref>Halpern, 2002</ref> ইন্টারনেটে বিভিন্ন মতামতের মতো অনেক সম্ভাব্য পছন্দের মুখোমুখি হলে আমাদের নিজস্ব মতামত এবং বিশ্বাস কী তা নিয়ে সমালোচনামূলকভাবে ভাবতে বাধ্য করা হয়।
ইন্টারনেট মানুষের চিন্তাভাবনা সম্পূর্ণরূপে পরিবর্তন করছে, আমাদের কাগজের চেয়ে পর্দা থেকে পড়ার জন্য আরও উপযুক্ত করে তুলছে এবং আমাদের মনকে একসাথে একাধিক কাজে মনোনিবেশ করতে সাহায্য করছে।<ref>Naughton, 2010</ref>
=== সহযোগিতা ===
দৈনন্দিন জীবনে জ্ঞান এবং তথ্যের অ্যাক্সেসের কারণে, দীর্ঘ দূরত্ব জুড়ে কাজের ক্ষেত্রে সহযোগিতা সম্ভব। এটি অবসর কার্যক্রম, একাডেমিক অধ্যয়ন, ব্যবসা এবং নাগরিক সাংবাদিকতার জন্য হতে পারে এবং ইন্টারনেটের বিভিন্ন মাধ্যমে করা যেতে পারে, যার মধ্যে রয়েছে ভিডিও যোগাযোগ থেকে শুরু করে ফাইল শেয়ারিং পর্যন্ত। এই পদ্ধতিগুলি প্রায় সম্পূর্ণ বিনামূল্যে এবং আমাদের পছন্দের যেকোনো প্রকল্পে সহযোগিতা করার জন্য, আমরা যে কারো সাথে সহযোগিতা করতে চাই তার জন্য সরঞ্জাম প্রদান করে। বুবাস আলোচনা করেছেন, এই পদ্ধতিগুলির মধ্যে কিছু ভুল ব্যাখ্যা, অকাল প্রতিক্রিয়া এবং এমনকি আগ্রাসনের ঝুঁকিতে পড়তে পারে, তবে শেষ পর্যন্ত গবেষণায় মানুষকে একত্রিত করার জন্য বিশাল সম্ভাবনা এবং অবিশ্বাস্য শক্তি রয়েছে।<ref>Bubaš, 2001</ref>
==== ব্যবসায়িক সহযোগিতা ====
আমাদের ক্রমাগত ফাইল ডাউনলোড, আপলোড এবং পরিবর্তন করার ক্ষমতার কারণে ব্যবসাগুলি সারা বিশ্ব থেকে একইভাবে যোগাযোগ এবং কাজ করতে পারে যেন তারা একসাথে অফিসে থাকে। বহুজাতিক কর্পোরেশনগুলি কনফারেন্স কল করার জন্য [http://www.skype.com/en/ স্কাইপের] মতো সরঞ্জাম ব্যবহার করতে পারে, যা বিশ্বব্যাপী ভ্রমণের প্রয়োজনীয়তা হ্রাস করে এবং খুব কম খরচে ব্যবহার করা যেতে পারে। [https://www.contentandcode.com/blog-post/how-skype-for-business-drives-productivity/ স্কাইপ ফর বিজনেসের] (Skype for Business) মতো নতুন উদ্যোগগুলি সর্বদা আরও ভালভাবে কার্যকর ব্যবসার জন্য ইন্টারনেটকে সহজতর করার আরও উপায় প্রদান করে। সহকর্মীরা এখন [https://www.mikogo.com/guide/screen-sharing/ স্ক্রিন শেয়ার] করতে, যেকোনো আকারের ফাইল পাঠাতে এবং কম্পিউটার থেকে নিয়মিত ফোন কল করতে পারে। সহকর্মীদের কাছে সরাসরি একটি ডকুমেন্ট পাঠানোর পরিবর্তে ফাইল শেয়ারিং ওয়েবসাইটগুলিও ব্যবহার করা যেতে পারে, যাতে আপনি যে কাউকে এটি অ্যাক্সেস করতে দেন তা অ্যাক্সেসযোগ্য হয়। [https://onedrive.live.com/about/en-US/plans/ ওয়ান ড্রাইভের] মতো অনলাইন স্টোরেজ কার্যকরভাবে ইন্টারনেটের মাধ্যমে একটি LAN তৈরি করতেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
==== একাডেমিক সহযোগিতা ====
আরও বেশি সংখ্যক শিক্ষাবিদ ইন্টারনেট ব্যবহার করে বিশ্বজুড়ে অন্যান্য মানুষের সাথে সহযোগিতা করছেন, পাশাপাশি উচ্চতর শিক্ষাবিদরা তাদের পড়াশোনার ক্ষেত্রের সদস্যদের সাথে সহযোগিতা করছেন।<ref>http://www.nature.com/news/online-collaboration-scientists-and-the-social-network-1.15711</ref> এই পৃষ্ঠাটি ইন্টারনেট ব্যবহারের মাধ্যমে কীভাবে সহযোগিতা বাড়ানো যেতে পারে তার একটি উদাহরণ - মোট ২৭ জন অবদানকারী (১১/০৩/২০১৬ পর্যন্ত) ইন্টারনেটে তাদের অ্যাক্সেস ব্যবহারের মাধ্যমে নিজেদের সংগঠিত করতে এবং ধারণা ভাগ করে নিতে সক্ষম হয়েছেন, যাতে তারা একটি বিষয়ের উপর একটি বিস্তারিত অনলাইন বই তৈরি করতে পারেন। কিছু উচ্চতর শিক্ষাগত কাজের উদাহরণ হতে পারে ডঃ বেথান বেনওয়েলের, যিনি সম্প্রতি পাঠক গোষ্ঠীর উপর গবেষণা করেছেন (যা এখনও প্রকাশিত হয়নি)। এটি করার জন্য তিনি ভারত থেকে ক্যারিবীয় অঞ্চলে গবেষকদের সাথে সহযোগিতা করেছেন, গবেষণার আগে কেবল একবার দেখা করেছেন, এবং তারপরে সহ গবেষকদের সাথে কথা বলার জন্য ইন্টারনেট ব্যবহার করে গবেষণা পরিচালনা এবং পর্যবেক্ষণ করেছেন। এই বিষয়ে কিছুটা ভিন্ন ধারণা হল জরিপ এবং স্বাস্থ্য গবেষণার জন্য ইন্টারনেট ব্যবহার সম্পর্কে আইসেনবাখ এবং ওয়াইটের<ref>Eysenbach, G., & Wyatt, J. (2002). Using the Internet for surveys and health research. Journal of Medical Internet Research, 4(2), e13.</ref> প্রবন্ধ সম্পূর্ণরূপে অনলাইন পদ্ধতির মাধ্যমে গবেষণা পরিচালনার প্রস্তাব করেছে। এটি গবেষণা পরিচালনার একটি ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয় উপায় হয়ে উঠছে, কারণ জরিপ ওয়েবসাইটগুলি জরিপ সম্পাদনের জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে, যেমন [https://www.surveymonkey.com/ সার্ভে মাঙ্কি]। ২০১৫ সালের হিসাবে এর ২৫ মিলিয়ন ব্যবহারকারী ছিল।
==== অবসর কার্যক্রমে সহযোগিতা ====
প্রতিদিনের অবসরকালীন কার্যকলাপ যেমন গান গাওয়া, ব্যায়াম করা এবং গেমিং তথ্যের অ্যাক্সেস থেকে উপকৃত হতে পারে, যা সহযোগিতায় সহায়তা করে। 'গান গাওয়ার ভয়'<ref>http://www.fearofsinging.com/skype-singing-lessons-worldwide/</ref> এর একটি উদাহরণ যা স্কাইপের মাধ্যমে গান গাওয়ার পাঠ গ্রহণের মাধ্যমে মানুষকে গান গাওয়ার জন্য উৎসাহিত করার উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে। আরও অনেকে অনলাইনে নাচের পাঠ প্রদানের মতো অনুরূপ প্রকল্প করেছেন।<ref>https://takelessons.com/online/dance-lessons</ref> এর অন্যান্য প্রমাণ অনলাইন গেমিং কমিউনিটিতে দেখা যায়, যেখানে গেমগুলি অনলাইনে খেলা যায় এবং খেলোয়াড়রা লক্ষ্য পূরণ করতে এবং পুরষ্কার অর্জনের জন্য সহযোগিতা করতে পারে। Minecraft হলো একটি সৃজনশীল বিল্ডিং গেম। এর হাজার হাজার উদাহরণ রয়েছে, যার মধ্যে একটি উল্লেখযোগ্য হল অন্য একটি গেম থেকে [http://www.minecraftforum.net/forums/mapping-and-modding/maps/wip-maps/2341600-gta-v-in-minecraft-12288x12288-blocks-massive মানচিত্রের পুনর্নির্মাণ]। এই উদাহরণগুলি অবশ্যই বিশ্বের কোনও বিশাল সমস্যার সমাধান করছে না, তবে এটি প্রমাণ করে যে ইন্টারনেটে সহযোগিতার মাধ্যমে বিশ্বের ছোট ছোট জিনিসগুলিও সমাধান করা যেতে পারে।
=== প্রবেশাধিকার এবং তথ্য ===
সীমাহীন তথ্যের অ্যাক্সেস আমাদের নতুন বিশ্বের একটি বড় অংশ। এটি আমাদের এমন জিনিসগুলি খুঁজে বের করার সুযোগ দেয় যা আমাদের বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষিত সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করবে। আশঙ্কা ছিল যে লাইব্রেরিগুলি অপ্রচলিত হয়ে যাবে এবং কাগজের বইগুলি অতীতের জিনিস হয়ে যাবে কিন্তু তা ঘটেনি। লাইব্রেরিগুলি আরও ডিজিটালাইজড হয়ে উঠছে, অনেকগুলি অনলাইনে ই-বুক অ্যাক্সেস এবং লোকেদের তাদের ল্যাপটপ/ইলেকট্রনিক ডিভাইস নিয়ে পড়ার জন্য স্থান প্রদান করে।<ref name="Ramon Resa">[http://www.huffingtonpost.com/ramon-resa-md/libraries-are-they-obsole_b_1123887.html Libraries: Are They Obsolete?], Ramon Resa, Huffington Post</ref>
যাদের ইন্টারনেট অ্যাক্সেস আছে তারা তাদের পছন্দের প্রায় যেকোনো জিনিস খুঁজে পেতে সক্ষম। চিকিৎসা সংক্রান্ত সমস্যার ক্ষেত্রে এটি বিশেষভাবে সহায়ক। যুক্তরাজ্যের লোকেরা NHS ওয়েবসাইট<ref>[http://www.nhs.uk/symptom-checker NHS Choice: Symptom Checker]</ref> ব্যবহার করতে পারেন। এটি তাদের লক্ষণগুলি কী তা দেখতে এবং দ্রুত পরামর্শ পেতে দেয় যা অনেক ক্ষেত্রে জীবন বাঁচিয়েছে।
যদিও বেশিরভাগ তথ্য খুঁজে পাওয়া মোটামুটি সহজ, তবে এমন তথ্য রয়েছে যা সাধারণ জনগণের কাছ থেকে দূরে রাখা হয়। তথ্য স্বাধীনতা আইন<ref>[https://www.gov.uk/make-a-freedom-of-information-request/the-freedom-of-information-act GOV.UK: How to make a freedom of information (FOI) request]</ref> এর মাধ্যমে পাবলিক সেক্টর সংস্থাগুলির দ্বারা ধারণ করা যেকোনো রেকর্ড করা তথ্যের উপর আপনার আইনি অধিকার রয়েছে তবে আপনার অনুরোধ করা তথ্য সংবেদনশীল বা খুব বেশি ব্যয়বহুল হলে তা অস্বীকার করা যেতে পারে।
ছোটবেলা থেকেই আমরা প্রাপ্তবয়স্কদের জিজ্ঞাসা করে তথ্য পেতে অভ্যস্ত, কিন্তু বয়স বাড়ার সাথে সাথে তথ্য খুঁজে বের করা কঠিন হয়ে পড়ে। ইন্টারনেটের ব্যাপক ব্যবহার শুরু হওয়ার আগেও এটা ছিল, কিন্তু এখন আমরা "প্রাপ্তবয়স্ক" হিসেবে কাজ করার জন্য এবং আমাদের প্রয়োজনীয় সমস্ত তথ্য দেওয়ার জন্য গুগলের উপর নির্ভর করার প্রবণতা পোষণ করছি।<ref>[http://www.designfresh.co.uk/web-design-blog/how-much-do-we-depend-on-google.html How Much Do We Depend On Google?]</ref> একটি গবেষণার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে<ref>[http://investmentwatchblog.com/study-google-is-making-us-all-dumber-we-rely-too-much-on-search-engines-to-remember-small-details-or-facts/ STUDY: ‘GOOGLE is making us all dumber’ – we rely too much on search engines to remember small details or facts]</ref> আমরা যেভাবে তথ্য মনে রাখি তা পরিবর্তিত হচ্ছে। আমাদের মস্তিষ্ককে পুনর্বিন্যাস করা হচ্ছে যাতে আমরা ছোট ছোট তথ্য মনে রাখতে না পারি যা আমরা কয়েক ক্লিকেই খুঁজে পেতে পারি। এর অর্থ এই নয় যে আমরা বোকা হয়ে যাচ্ছি বরং আমরা যেভাবে তথ্য অ্যাক্সেস এবং প্রক্রিয়া করি তা পরিবর্তিত হচ্ছে।
=== অবহিত সিদ্ধান্ত গ্রহণ ===
.
যেহেতু ইন্টারনেটে আমাদের অ্যাক্সেস আমাদের মতামত এবং মতামতের বহুবচন দেখার ক্ষমতা দেয়, এটি আমাদের সমাজকে আমাদের প্রতিটি সিদ্ধান্ত জানানোর প্রায় নিখুঁত উপায় দেয়। এটি মার্কিন নির্বাচনে কোন রেস্তোরাঁয় যেতে হবে এবং কাকে ভোট দিতে হবে তার মতো সহজ কিছু হতে পারে, যা দেখায় যে গণতন্ত্রকে সচল রাখতে আমাদের তথ্যে অ্যাক্সেস কীভাবে অপরিহার্য হতে পারে। এটি একটি নির্দিষ্ট সিদ্ধান্তে প্ররোচিত করার কাছাকাছি বলে মনে হতে পারে (এবং কিছু সার্চ ইঞ্জিন এটি করতে পারে ) তবে বেশিরভাগ অংশে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য এই তথ্যটি ব্যবহার করা আমাদের সংস্কৃতির জন্য অবিশ্বাস্যভাবে দরকারী।
অন্যান্য উপায় যা এটি আমাদের সাহায্য করতে পারে তা হলো স্বাস্থ্য পরামর্শের মতো আরও গুরুতর বিষয়গুলো। এনএইচএসের মতো ওয়েবসাইটগুলো কীভাবে আপনার স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে পারে সে সম্পর্কে তথ্য সরবরাহ করতে সহায়তা করতে পারে, পাশাপাশি আপনার ডাক্তারের সাথে দেখা উচিত কিনা, আপনার অসুস্থতা কী হতে পারে বা এমনকি কীভাবে কারও জীবন বাঁচানো যায় সে সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সরবরাহ করতে পারে। স্বাস্থ্যকর খাওয়া, ব্যায়াম এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা সম্পর্কে পরামর্শ ইন্টারনেট জুড়ে পাওয়া যেতে পারে এবং কোনও সমস্যা বা প্রশ্ন দেখা দিলে তা জানার জন্য আমাদের জন্য সর্বদা উপলব্ধ।
=== প্রতিনিধিত্ব ===
.
অনলাইন পরিচয় এবং অনলাইনে প্রতিনিধিত্ব খুঁজে পাওয়ার ক্ষমতা ওয়েব ২.০ এর উন্নয়ন এবং ইন্টারনেটের বৃদ্ধির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ইন্টারনেট কীভাবে অনলাইন প্রতিনিধিত্ব খুঁজে পাওয়ার ক্ষমতাকে সহজতর করেছে তার একটি উদাহরণ লং টেইল অর্থনীতির তত্ত্ব। লং টেইল মূলত দেখায় যে কীভাবে সমাজ ও অর্থনীতি অল্প সংখ্যক মূলধারার পণ্য এবং বাজারের দিকে মনোনিবেশ করা থেকে দূরে সরে যাচ্ছে এবং বাজারের 'লেজ' এ বিপুল সংখ্যক কুলুঙ্গির দিকে মনোনিবেশ করার দিকে এগিয়ে চলেছে। উৎপাদন একটি খুব উচ্চ ব্যয়বহুল ব্যবসা হিসাবে ব্যবহৃত হত, যা কোনও কিছুকে প্রায় অ্যাক্সেসযোগ্য করে তোলে, তবে ইন্টারনেট এবং প্রায় কোনও কিছু অ্যাক্সেস করার ক্ষমতা অর্থনৈতিক আড়াআড়ি পরিবর্তন করেছে এবং কম পরিচিত সংস্থাগুলোকে অর্থনৈতিক বিশ্বে স্থান দেওয়ার অনুমতি দেওয়ার জন্য কনগ্লোমারেট এবং বাজারের নেতাদের অত্যধিক শক্তি হ্রাস করেছে। বৈচিত্র্য আনলক করার এই ক্ষমতা, কেবল বাজারে নয় ইন্টারনেটে সর্বত্র, লোকেরা অনলাইনে তাদের পরিচয় খুঁজে পেতে সক্ষম হয়েছে। যেহেতু প্রতিটি গোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব করা যায় এবং কোনও একটি প্রভাবশালী বক্তৃতা দ্বারা নীরব করা যায় না, তাই যে কেউ অনলাইনে যেতে পারে এবং ওয়েবসাইট বা সমমনা ব্যক্তিদের সন্ধান করতে পারে।
সমমনা ব্যক্তিদের (বা সাধারণভাবে অনলাইনে যে কেউ) সাথে যোগাযোগ করার ক্ষমতা সর্বদা ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবের একটি প্রধান অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইন্টারনেট ফোরামের প্রথম দিন থেকে বর্তমান দিনের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ল্যান্ডস্কেপ পর্যন্ত, মানুষ সবসময় একে অপরের সাথে যোগাযোগ করতে সক্ষম হয়েছে। তাই অনলাইন পরিচয় তৈরি সবসময়ই বিতর্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আলোচনার বেশিরভাগই ছিল একটি 'মিথ্যা পরিচয়' তৈরি করা – অনলাইনে ভিন্ন এক ব্যক্তি হয়ে ওঠাকে কেন্দ্র করে। 'ইমপ্রেশন ম্যানেজমেন্ট' সহজতর করার ধারণা[ নেতিবাচকভাবে চিন্তা করা হয়েছিল। যাইহোক, একটি অনলাইন স্ব উপস্থাপনা অগত্যা এত নেতিবাচক নয়। হেলেন কেনেডি মিডিয়া পরিচয় সম্পর্কিত তার গবেষণায় পর্যবেক্ষণ করেছেন যে "বিষয়গুলো তাদের লিঙ্গ এবং জাতিগত পরিচয় গোপন করতে চায় এমন কোনও লক্ষণ দেখায়নি এবং তাই সাইবারস্পেস তাদের যে পরিচয় গোপন করার সম্ভাবনা থেকে 'উপকার' পেয়েছিল। বরং, তারা প্রায়ই তাদের লিঙ্গ এবং জাতিগততাকে তাদের হোমপেজগুলোর কেন্দ্রীয় করে তোলে, ঠিক যেমন এটি তাদের পরিচয়ের কেন্দ্রবিন্দু। লোকেরা অনলাইনে বেনামী হতে চায় না - পরিবর্তে, তারা তাদের সত্যিকারের সত্তা প্রদর্শন করতে চায়, এমন কিছু যা তারা বাস্তব জীবনে সর্বদা করতে পারে না। বেনামী অনলাইন সেটিংস ক্ষমতায়ন হতে পারে কারণ তারা পরিচয় অন্বেষণকে সহজতর করে, বা পরিচয় অবস্থানগুলো দখল করে যা বাস্তব জীবনে দখল করা কঠিন হতে পারে। অনলাইনে লিঙ্গ, জাতি বা শ্রেণির প্রতি কোনও পক্ষপাত নেই, যা বাস্তব জীবনের বিপরীতে অনলাইনে খুব আলাদা পরিচয়ের অভিজ্ঞতার অনুমতি দেয়।
দুর্ভাগ্যক্রমে, এই 'মিথ্যা পরিচয়' খুব নেতিবাচক হওয়ার উদাহরণও রয়েছে। এমনকি এই নেতিবাচক পরিচয় পরিবর্তন বন্ধ করার জন্য নিরাপত্তা স্থাপন করা সত্ত্বেও এখনও করা সম্ভব। লোকেরা ব্যবসা ধ্বংস করার জন্য মিথ্যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে পারে,[ অন্যদের হুমকি দেওয়া ঘৃণা এবং সহিংসতা বা আরও গুরুতর ক্ষেত্রে অবৈধ কাজ হতে পারে যেমন শিশু গ্রুমিং (এটি ক্যাটফিশিং নামেও পরিচিত)। তবে এটি ক্রমবর্ধমানভাবে ধরা পড়ছে এবং এই কাজগুলো বন্ধ করার জন্য অনলাইনে সুরক্ষা জোরদার করা হচ্ছে। জাল অ্যাকাউন্টগুলোর মাধ্যমে অনলাইন সাইবার বুলিং বন্ধ করা হচ্ছে,[ রেস্তোঁরাগুলোর জন্য জাল অনলাইন পর্যালোচনাগুলো যুক্তরাজ্যে ধরা পড়ছে এবং বন্ধ করা হচ্ছে ইটার নিবন্ধ[ এবং নতুন আইনগুলো ভুল উপস্থাপনা বন্ধ করতে অনলাইনে আরও বেশি অবৈধ ক্রিয়াকলাপ রোধ করছে।
ডেটা অ্যাক্সেস কীভাবে লোকেরা নিজেকে উপস্থাপন করার উপায় পরিবর্তন করতে পারে তার একটি উদাহরণ হলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের মাধ্যমে। আপনি কে, আপনি কী পছন্দ করেন এবং অপছন্দ করেন তা স্পষ্টভাবে দেখানোর ক্ষমতা, অন্যান্য অনলাইন ব্যবহারকারীদের অন্যান্য ব্যক্তির সাথে মিল দেখে নিজেকে সনাক্ত করতে সক্ষম করে। ওয়েব ২.০ এর ক্ষমতার সাথে মিলিত হয়ে যে কেউ ব্লগ, নিবন্ধ, চলচ্চিত্র বা অন্য কোন সৃজনশীল প্রচেষ্টার মাধ্যমে তাদের নিজস্ব পরিচয় প্রকাশ করতে পারে এবং এটি যে কেউ দেখেছে (লং টেইল অর্থনৈতিক মডেলের আরও একটি উদাহরণ) একটি কল্পিত অনলাইন সম্প্রদায়ের মাধ্যমে সনাক্তকরণ বাস্তব জীবনের তুলনায় অনলাইনে অনেক সহজ, যেখানে স্ব-প্রকাশ করা ততটা সহজ নয়। অ্যাড্রিয়ান আথিক যেমন বলেছেন, "গণমাধ্যমের উত্থানের ফলে তৈরি নতুন শ্রোতাদের অংশ নেওয়া ব্যক্তিদের নিজেকে বৃহত্তর এবং আরও বিমূর্ত সামাজিক গঠনের অংশ হিসাবে কল্পনা করতে উত্সাহিত করেছিল। তা করতে গিয়ে তারা তুলনীয় অন্যদের এক সমাজের কথা কল্পনা করতে পরিচালিত হয়েছিল, যাদের মধ্যে তারা এক স্থায়ী ভ্রাতৃত্বপূর্ণ বন্ধন গড়ে তুলেছিল".
ইন্টারনেট একটি অত্যন্ত মূল্যবান, এবং সম্ভবত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপায় যা তথ্য বিতরণ করা যেতে পারে। উচ্চ গতি এবং বিশ্বব্যাপী শ্রোতা নিশ্চিত করে যে আক্ষরিক অর্থে যে কোনও বিষয়ে বৈকল্পিক তথ্যের বিস্তৃত বর্ণালী পাওয়া যেতে পারে। ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবের মধ্যে, তথ্য ভ্রমণের দ্রুততম এবং কার্যকর উপায়গুলোর মধ্যে একটি হলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অপ্রতিরোধ্য ব্যবহারের মাধ্যমে। ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম এবং ইউটিউবের মতো ভিডিও স্ট্রিমিং সাইটগুলো নিশ্চিত করে যে তথ্য পোস্ট করা যায় এবং অত্যন্ত উচ্চ গতিতে দর্শকদের কাছে ভ্রমণ করবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সর্বদা প্রভাবটি প্রায়ই মানুষকে প্রতিনিধিত্ব করার জন্য খুব ইতিবাচক উপায়ে ব্যবহৃত হয়, এটি পাবলিক ফিগার, সেলিব্রিটি বা আপনার বন্ধুবান্ধব এবং পরিবার হোক না কেন। হ্যাশট্যাগ এবং ভাইরাল ভিডিওগুলোর ডোমিনো প্রভাব এবং ভাগ করে নেওয়া, পুনরায় পোস্ট করা এবং পুনঃটুইট করার জনপ্রিয় এবং ধ্রুবক স্ট্রিম তথ্য পাস করার জন্য একটি দ্রুত এবং কার্যকর উপায় নিশ্চিত করে। যাইহোক, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং ইন্টারনেট কেবল মানুষের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য ব্যবহৃত হয় না, তাদের ক্ষমতাগুলো প্রায়ই নিম্ন-প্রতিনিধিত্বকারী গোষ্ঠীগুলোর জন্য একটি মঞ্চ হিসাবে ব্যবহৃত হয় এবং সমাজের মধ্যে প্রায়ই চাপযুক্ত বিষয়গুলো উপেক্ষা করা হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের মাধ্যমে এবং সামগ্রিকভাবে ইন্টারনেটের শক্তির মাধ্যমে কম প্রতিনিধিত্বকারী গোষ্ঠী, ব্যক্তি এবং ইস্যুগুলোকে একটি কণ্ঠ দেওয়া যেতে পারে এবং বিশ্বকে প্রায়ই কার্পেটের নীচে ডুবে থাকা বিষয়গুলোতে শিক্ষিত করা যেতে পারে। শরীরের চিত্র এবং লিঙ্গ স্টেরিওটাইপগুলোর উপর দৃষ্টিভঙ্গি এবং যুক্তিগুলোর মতো অনেকগুলো চাপযুক্ত বিষয়, বিশেষত মহিলাদের মধ্যে প্রতিনিধিত্ব করা হয়েছে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যময় প্রসারিত হতে থাকে। "নিপলকে মুক্ত কর" প্রচারণার প্রতি জনগণের ব্যাপক প্রতিক্রিয়া এটিকে তুলে ধরেছে এবং একই সাথে অনলাইন সেন্সরশিপ এবং নারীদের বৈষম্য নিয়ে বিতর্ক করেছে। ইন্টারনেটটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর প্রতিনিধিত্ব এবং সচেতনতা বাড়ানোর জন্যও ব্যবহৃত হয় তবে প্রায়ই উপেক্ষা করা হয়, উদাহরণস্বরূপ, মডেল বেথানি টাউনসেন্ড একটি বিকিনি পরে একটি ছবির জন্য পোজ দিয়ে একটি বিশাল মিডিয়া ঝড় তৈরি করে যা ক্রোনের রোগের জন্য সচেতনতা বাড়াতে এবং লোকেদের একে অপরের সাথে বিষয়টি ভাগ করে নেওয়ার এবং আলোচনা করার জন্য প্রকাশ্যে তার কোলোস্টোমি ব্যাগটি প্রকাশ করে। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো তুলে ধরার জন্য অন্যান্য ভাইরাল ক্রেজগুলোর মধ্যে রয়েছে ক্যান্সার গবেষণার বিভিন্ন প্রচারণা যেমন #barefacedselfie প্রচারাভিযান যেখানে সমস্ত বয়সের মহিলারা তাদের মেকআপের মুখগুলো উন্মুক্ত করেছিলেন এবং ক্যান্সার আক্রান্তদের জন্য সচেতনতা বাড়ানোর জন্য আসলটি প্রকাশ করেছিলেন। একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুর আরেকটি সফল উপস্থাপনা ছিল ভাইরাল ভিডিও মনোনয়ন এবং "এএলএস আইস বাকেট চ্যালেঞ্জ" শিরোনামে চ্যালেঞ্জ যা সচেতনতা বাড়াতে এবং রোগের জন্য সমর্থন উত্সাহিত করার জন্য তৈরি করা হয়েছিল অ্যামায়োট্রফিক পার্শ্বীয় স্ক্লেরোসিস, প্রচারটি একটি বিশ্বব্যাপী ঘটনা ছিল যা এই রোগ এবং আক্রান্তদের প্রতিনিধিত্ব করার সময় বিনোদন ও শিক্ষিত হয়েছিল।
=== পুলিশ এবং আইন প্রয়োগকারী সুরক্ষা ===
.
অনলাইনে এত বিপুল পরিমাণ তথ্য উপলভ্য হওয়ার সাথে সাথে এর একটি মূল সুবিধা হলো অপরাধ ও বিশৃঙ্খলা রোধে তথ্য ব্যবহার করা। পুলিশ উপলব্ধ বিস্তৃত তথ্য অ্যাক্সেস করতে পারে এবং অপরাধমূলক কার্যকলাপ রোধ করতে বা ইতিমধ্যে ঘটে যাওয়া অপরাধমূলক ক্রিয়াকলাপের জন্য দায়ীদের খুঁজে বের করতে সামগ্রীর প্রকৃতি মূল্যায়ন করতে পারে; ভবিষ্যতে অপরাধ যাতে না ঘটে সেজন্য পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এই বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে। জনসাধারণের সুরক্ষার জন্য ইন্টারনেট ব্যবহার করার জন্য, সরকার এবং পুলিশ জনসাধারণের তথ্যে ব্যক্তিদের অ্যাক্সেস করে যা তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং অন্যান্য ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অনলাইনে পোস্ট করে।
পুলিশ অনলাইনে পোস্ট করা তথ্য অপরাধমূলক কার্যকলাপ প্রমাণে প্রমাণ হিসাবে ব্যবহার করতে পারে। এর একটি উদাহরণ শিকাগোতে যেখানে নেপারভিল গোয়েন্দা রিচ উইস্টকি গ্যাং এবং মাদক সম্পর্কিত অপরাধ প্রমাণ করার জন্য প্রমাণ হিসাবে অনলাইনে পোস্ট করা তথ্য ব্যবহার করেছিলেন। এই বিশেষ ক্ষেত্রে গ্যাং সদস্যদের মাদকদ্রব্য রাখা, অবৈধ গ্রাফিতি করা এবং অন্য ব্যক্তিদের দিকে বন্দুক তাক করার ফটো প্রমাণ অনলাইনে পোস্ট করা হয়েছিল। উইস্টকি (২০০)) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যময় তথ্য পোস্ট করা ব্যক্তিদের সম্পর্কে কথা বলার সময় বলেছিলেন, "এই ছেলেরা এটি সেখানে রেখেছিল, ভেবেছিল যে কেউ দেখছে না। যে এটি কেবল তাদের বন্ধু, তবে তারা ভুল। অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার ও আটক করার জন্য পুলিশ তাদের মামলায় প্রমাণ হিসাবে অনলাইনে পোস্ট করা সহজে অ্যাক্সেসযোগ্য তথ্য ব্যবহার করেছিল।
জনসাধারণের সদস্যরা শিশু সুরক্ষায় অনলাইনে পোস্ট করা তথ্যও পুলিশ ব্যবহার করতে পারে। অন এবং অফলাইনে শিশুদের সুরক্ষার জন্য ইন্টারনেট তথ্য ব্যবহার করা জাতীয় অপরাধ সংস্থার কমান্ডের আওতায় পড়ে। তারা এমন একটি সংস্থা যা শিশুদের সুরক্ষা এবং শিশুদের জন্য শিশু শোষণ এবং অনলাইন সুরক্ষা প্রতিরোধে তথ্যে অ্যাক্সেস ব্যবহার করে। এনসিএর সিইওপি কমান্ড (পূর্বে শিশু শোষণ এবং অনলাইন সুরক্ষা কেন্দ্র) যুক্তরাজ্য এবং বিদেশে শিশু সুরক্ষা অংশীদারদের সাথে শিশুদের প্রধান হুমকিগুলো সনাক্ত করতে এবং অপরাধীদের জবাবদিহিতার আওতায় আনতে এই হুমকির বিরুদ্ধে ক্রিয়াকলাপ সমন্বয় করার জন্য কাজ করে। তারা সরাসরি এনসিএ নেতৃত্বাধীন অপারেশনগুলোর মাধ্যমে এবং স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সাথে অংশীদারিত্বের মাধ্যমে অনলাইন এবং অফলাইনে শিশুদের ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে তথ্য ব্যবহার করে। কোনও শিশু অনলাইনে যে তথ্যের সংস্পর্শে আসে তার বিষয়বস্তু মূল্যায়নে, তারা কোনও ক্ষতিকারক বা পেডোফিলিক ক্রিয়াগুলো তাদের সাথে ঘটতে বাধা দিতে এটি ব্যবহার করতে পারে। তারা নিবন্ধিত অপরাধীদের ট্র্যাক করে এটি করতে পারে যাদের শিশুদের প্রতি যৌন আগ্রহ রয়েছে এবং যারা যৌন অপরাধ আইন ২০০৩ এর অধীনে তাদের বিজ্ঞপ্তির প্রয়োজনীয়তাগুলো মেনে চলতে ব্যর্থ হয়েছে পাশাপাশি সম্ভাব্য অপরাধীদের অনলাইন ক্রিয়াকলাপ ট্র্যাক করে। তবে একটি প্রশ্ন রয়েছে যে পুলিশ যথেষ্ট পরিমাণে যায় এবং অপরাধ রোধে অনলাইনে তথ্য অ্যাক্সেস করার জন্য যথেষ্ট সময় এবং প্রচেষ্টা ব্যয় করে কিনা। হ্যারিয়েট লাইনে "অনলাইন শিশু সুরক্ষার পুলিশ 'স্কিমিং সারফেস' নিবন্ধটি অন্বেষণ করে যে কীভাবে অনলাইনে পুলিশ পদক্ষেপ আরও এগিয়ে যেতে পারে এবং জনসাধারণের তথ্যে আরও অনুপ্রবেশকারী হতে পারে। অপরাধ প্রতিরোধের জন্য অনলাইনে তথ্য অ্যাক্সেস করার ক্ষেত্রে বাধা হলো এত বিপুল পরিমাণে তথ্য পাওয়া যায় যে জনসাধারণের সুরক্ষা এবং অপরাধমূলক কার্যকলাপ রোধে কী প্রাসঙ্গিক তা খুঁজে পাওয়া খুব কঠিন হতে পারে। অনলাইনে জনসাধারণের তথ্য থেকে ব্যক্তিদের অ্যাক্সেস করার ক্ষেত্রে পুলিশকে আরেকটি বাধা অতিক্রম করতে হয় তা হলো কোনও ব্যক্তির গোপনীয়তায় আক্রমণ করা। "অনলাইন নিরাপত্তা এবং নাগরিক অধিকার রক্ষা: একটি আইনি সংক্ষিপ্ত দৃষ্টি" প্রবন্ধে আলোচনা করা হয়েছে কিভাবে পুলিশের অনলাইনে তথ্য ব্যবহার করা জনসাধারণের স্বতন্ত্র সদস্যদের নাগরিক অধিকারের বিরুদ্ধে না যায়। তথ্য অ্যাক্সেস করার সময় পুলিশকে অবশ্যই জনসাধারণের নাগরিক অধিকারগুলো মেনে চলতে হবে এবং জনসাধারণের ব্যক্তিগত তথ্যের সদস্যদের খুব বেশি আক্রমণ না করে নাগরিক অধিকারের পুলিশ সুরক্ষার মধ্যে ভারসাম্য থাকা দরকার।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের মাধ্যমে যোগাযোগের ক্ষেত্রে এত বিশাল আধিপত্যের সাথে পুলিশের শেয়ার করা তথ্যের মাধ্যমে অপরাধমূলক কার্যকলাপের তথ্য অনুসন্ধানের জন্য এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম প্ল্যাটফর্মগুলো ব্যবহার করতে পারে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম স্ক্যান করে পুলিশ অনলাইনে ক্ষতিকর কনটেন্ট বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অবমাননাকর ব্যবহারকারীদের হাত থেকে শিশুদের রক্ষা করতে পারে। "অনলাইন পুলিশ টু হান্ট মাইস্পেস পেডোফাইলস" নিবন্ধটি দেখায় যে পুলিশ কীভাবে অপরাধ প্রতিরোধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যময় তথ্য ব্যবহার করেছে। মাইস্পেসের রেফারেন্সের সাথে পুলিশ সম্ভাব্য অপরাধীদের পেডোফিলিক ক্রিয়াকলাপের মাধ্যমে অনুসন্ধান করে শিশুদের রক্ষা করতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের মাধ্যমে অনলাইন তথ্য ব্যবহার করেছিল।
== সীমাহীন অনলাইন তথ্যের অসুবিধা ==
=== তথ্য অতিভার ===
ডেটা ধোঁয়াশা: সাংবাদিক ডেভিড শেঙ্ক দ্বারা উদ্ভাবিত বাক্যাংশটি বোঝায় যে প্রচুর পরিমাণে ডেটা এবং তথ্য বোঝায়।
অ্যানালাইসিস প্যারালাইসিস: যখন একজন ব্যক্তি বিভিন্ন তথ্য পরীক্ষা ও মূল্যায়ন করার প্রক্রিয়ায় এতটাই হারিয়ে যায় যে সে এটির সাথে সিদ্ধান্ত নিতে অক্ষম হয়।
তথ্য ক্লান্তি সিন্ড্রোম: তখন ঘটে যখন আমরা মিডিয়া, প্রযুক্তি এবং তথ্যের কাছে নিজেকে অতিরিক্ত প্রকাশ করি।
কোন ব্যাপার কোন ব্যাপার বাক্যাংশ ব্যবহার করা হয়, এটি সব মানে একই। আজকের সমাজে, একজনের প্রচুর পরিমাণে ডেটা এবং তথ্য অ্যাক্সেস রয়েছে। ইন্টারনেট কেবল সেই তথ্যকে যুক্ত করেছে। সুতরাং যখন সেই সমস্ত তথ্য খুব বেশি তথ্য হয়ে যায় তখন কী ঘটে?<blockquote>''"মস্তিষ্কের হজম করার জন্য খুব বেশি তথ্য পরিস্থিতিটি মূল্যায়ন করতে অক্ষমতার দিকে পরিচালিত করে যা ফলস্বরূপ চরম ক্লান্তির অনুভূতির দিকে পরিচালিত করে।'' - ''''তথ্য অতিভার - মিথ বা বাস্তবতা',''' অ্যান্ড্রু জে স্ট্যানলি এবং ফিলিপ এস ক্লিপশাইন</blockquote>'''প্রযুক্তিতে সীমাহীন প্রবেশাধিকার'''
ব্যবহারকারীদের জন্য অনলাইনে তথ্যের অবিচ্ছিন্ন বহিঃপ্রবাহ রয়েছে। এটা 'অলওয়েজ অন' সংস্কৃতির অংশ। ব্যবহারকারীরা ক্রমাগত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম অ্যাকাউন্ট, ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম এবং স্ন্যাপ চ্যাটে অনলাইনে থাকেন। যেহেতু অনেক ব্যবহারকারী এত বড় অনলাইন সম্প্রদায়ের সাথে জড়িত, তথ্য ছড়িয়ে পড়ে এবং ধারাবাহিকভাবে ভাগ করা হয়। এই তথ্যগুলোর বেশিরভাগই নেওয়া হয় না, তবে তথ্যের অতিভারের দিকে পরিচালিত করে। তথ্য ভোগের পরিবর্তে শেয়ার করা হয়। "সংস্কৃতির নতুন কাজগুলো আবিষ্কার করার জন্য আমাদের ক্রমাগত চ্যালেঞ্জ করা হয় - এবং এই প্রক্রিয়ায়, আমরা তাদের কোনওটিকেই আমাদের মনের মধ্যে ওজন গ্রহণ করতে দিই না। এই উদ্ধৃতিটি বলছে যে এই সমস্ত প্রযুক্তির সাথে নতুন তথ্য শেখার অনেক নতুন উপায় রয়েছে, তবে এটি বরং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম প্রযুক্তির আরও দিকগুলোর পটভূমি হিসাবে ব্যবহৃত হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ওয়েবসাইটগুলোতে অনলাইনে এবং আরও তথ্যের জন্য যাওয়ার উপায়টিও প্রসারিত হচ্ছে, স্মার্টফোনে অ্যাপ্লিকেশনগুলোর কারণে যেতে যেতে এবং আরও সহজে আপনার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম দর্শনীয় স্থানগুলো অ্যাক্সেস করতে সক্ষম হওয়ার সাথে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম অ্যাকাউন্টগুলোতে অ্যাক্সেস করা সহজ করার জন্য স্মার্টফোনগুলো এখন ক্রমাগত আপডেট করা হচ্ছে, তাই তথ্যগুলো ব্যবহারকারীদের কাছে ক্রমাগত প্রবাহিত হতে থাকবে। সার্চ ইঞ্জিন গুগল ব্যবহারকারীকে যেকোনো কিছু সার্চ করার সুযোগ করে দেয়, এবং তারা তা পেয়ে যাবে। তাই অনেকে সত্যিকার অর্থে তথ্য গ্রহণ না করেই কাজের জন্য তথ্য খুঁজে পেতে এটি ব্যবহার করেন। গুগল এমনকি ব্যবহারকারীদের মানুষের বাড়ির ঠিকানা এবং কখনও কখনও কোনও নির্দিষ্ট ব্যক্তির তথ্য সন্ধান করার অনুমতি দিতে পারে।
=== সোশ্যাল মিডিয়া অতিরিক্ত চাপ ===
==== এটি আমাদের সংস্কৃতির সাথে কীভাবে সম্পর্কিত ====
তথ্য অতিভার একটি খুব বাস্তব দৈনন্দিন সমস্যা হতে থাকে যা আমরা, ভোক্তা হিসাবে, বিশেষত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং ডিভাইসগুলোর 'টিথারিং' এর মাধ্যমে তথ্য, বিজ্ঞপ্তিগুলোর ধ্রুবক অতিভার সম্পর্কিত। কিন্তু এর অর্থ আসলে কী? ওয়াটসন বর্ণনা করেছেন যে মিডিয়ার কাজ হলো অবহিত করা, শিক্ষিত করা এবং বিনোদন দেওয়া। মনে হচ্ছে এই ফাংশনগুলোর ব্যবহারিক প্রয়োগে ব্যবহারগুলো একই সাথে সহায়ক এবং ক্ষতিকারক হতে পারে। ডানাহ বয়েড, 'অলওয়েজ-অন' সংস্কৃতির স্বরলিপি নিয়ে আসে। এটি যোগাযোগের সাথে অবিচ্ছিন্ন সংযোগের একটি অবস্থা। অর্থাৎ, মানুষ এবং তথ্যের জন্য একটি ধ্রুবক নেটওয়ার্ক যা ইন্টারনেটে সীমাহীন অ্যাক্সেসযোগ্যতা দ্বারা স্থায়ী হয়। বয়েড এই কারণে অনলাইন এবং অফলাইনে থাকার সীমানা অস্পষ্ট হয়ে যাওয়ার বিষয়ে মন্তব্য করেছেন। এটাই 'অলওয়েজ-অন' সংস্কৃতির ধারণা। এই তথ্যগুলোর বেশিরভাগই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ওয়েবসাইটগুলোর উত্থানের কারণে এবং বয়েড প্রজন্মের পরিপ্রেক্ষিতে 'ডিজিটাল নেটিভ' হিসাবে বর্ণনা করেছেন যারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ওয়েবসাইটগুলোর প্রতিটি নতুন বিবর্তনের সাথে ক্রমাগত সংযুক্ত থাকে। এটি একটি সাধারণীকরণ করা, তবে কারণ এই 'অলওয়েজ-অন' সংস্কৃতি তরুণ প্রজন্মের মধ্যে সাধারণ হতে পারে তবে কঠোরভাবে এটির জন্য নয়।
==== আমাদের পাবলিক এবং প্রাইভেট জীবনের মধ্যে সীমানা অস্পষ্ট বোঝায় ====
এটি সরকারী এবং ব্যক্তিগত জীবনের মধ্যে অস্পষ্টতার নিহিততার একটি যুক্তি তৈরি করে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যময় শেয়ার করা তথ্যের উপচে পড়া প্রবাহ। 'ওভারশেয়ার' ধারণাটি এখানে তথ্যের আধিক্যের মধ্যে সম্পর্কিত কারণ ব্যবহারকারীরা একটি পাবলিক স্পেসের মধ্যে তাদের ব্যক্তিগত জীবনের তথ্য ভাগ করে নিতে আরও স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে, যেমন, তাদের কাছে তারা কেবল একটি পর্দা দেখতে পায় যা উন্মুক্ততার পরিবেশ তৈরি করে যার প্রতি লোকেরা তাদের ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে আরও বেশি ভাগ করে নেওয়ার দিকে ঝুঁকতে পারে যা তারা সাধারণত করে। টার্কল এই স্থানটি সম্পর্কে মন্তব্য করেছেন যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম অবিচ্ছিন্ন যোগাযোগের জন্য সরবরাহ করে। তিনি গণনা করেন যে ব্যবহারকারীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম যে আনন্দ এবং সুযোগ-সুবিধা দেয় তাতে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছে। তিনি ফেসবুকে জীবনের বর্ণনায় মন্তব্য করেছেন যে বাস্তব জীবনের চেয়ে জীবন ভাল বলে মনে হচ্ছে।
==== ব্যক্তিগত তথ্য ====
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যময় তথ্যের অতিভারের আরেকটি সমস্যা হলো প্রযুক্তিগত ডিভাইস থেকে ব্যবহারকারীর খুব বেশি তথ্য থাকার পরিবর্তে ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্যের আধিক্য। এতে ব্যবহারকারীদের তথ্যের পরিমাণ নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। এটি কোনও গোপন বিষয় নয় যে ফেসবুকের মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ওয়েবসাইটগুলো ব্যবহারকারীদের আগ্রহ, বয়স, লিঙ্গ এবং অবস্থানের জন্য নির্দিষ্ট নির্বাচিত বিজ্ঞাপন তৈরি করতে ব্যবহারকারীদের ডেটা সরবরাহ করে।
==== আমরা যে প্রযুক্তিগুলো ব্যবহার করি তার সাথে আমরা 'আবদ্ধ' ====
টার্কল প্রযুক্তিগত ডিভাইসগুলোর আবেদন সম্পর্কে মন্তব্য করেছেন যা এই সর্বদা চালু জীবনযাত্রায় কার্ট করে। প্রযুক্তিগত অগ্রগতির কারণে সামাজিক প্রয়োজনের মানবিক গুণাবলী খাওয়ানো সহজ, কারণ এটি ধ্রুবক সংযোগের অনুভূতি তৈরি করে কারণ এটি আমাদের অনুভব করে যেন আমরা কখনই সত্যই একা নই। এটি অন্যান্য মানুষের জীবনের নিউজ ফিডের ক্রমাগত তথ্য উপচে পড়া এবং ক্রমাগত তাত্ক্ষণিক বার্তাগুলোর কারণে যা পপ আপ হয়।
* '''এটি যেভাবে মানুষকে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে তোলে (এবং বাড়ির অভ্যন্তরে থাকে)'''
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের মধ্যে তথ্যের অতিভারের এই তরঙ্গের মাধ্যমে অলওয়েজ-অন সংস্কৃতি থেকে আরও উদ্বেগজনক প্রতিক্রিয়া আনা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ডিভাইসগুলোর 'টিথারিং' যা ব্যবহারকারীদের ক্রমাগত অ্যাক্সেসযোগ্য করে তোলে (বয়েড)। সুতরাং, ভৌত স্থান এবং প্রকৃতপক্ষে বহিরঙ্গন স্থানগুলোর প্রতি মনোযোগের অনুপস্থিতির দিকে ঝোঁক থাকে। নেটওয়ার্কিং এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের মাধ্যমে টার্কল এই উদ্বেগের বিষয়ে মন্তব্য করেছেন যে আসল জিনিসটির একটি আকর্ষণীয় সিমুলেশনে একটি ভৌত বাস্তবতা পুনরায় তৈরি করে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের উপর নির্ভরশীলতার মাধ্যমে সর্বদা বিশ্বজুড়ে ব্যবহারকারীদের সাথে সংযোগ স্থাপন করে, যা ক্রমাগত অ্যাক্সেসযোগ্য। এটি নতুন সামাজিক সমস্যা তৈরি করেছে যা আগে সম্মুখীন হয়নি কারণ মানুষ ক্রমাগত বাস্তব জীবনের সামাজিক পরিস্থিতিতে তাদের ফোন এবং অন্যান্য মোবাইল ডিভাইস ব্যবহার করছে।
* '''হারিয়ে যাওয়ার ভয়'''
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইনফরমেশন অতিভার থেকে উত্থাপিত আরেকটি উদ্বেগ হলো ব্যবহারকারীরা কী কী ক্রিয়াকলাপ করছে তা ভাগ করে নেওয়ার ক্রমাগত প্রবাহ, 'হারিয়ে যাওয়ার ভয়' সম্পর্কে একটি নতুন ধারণা তৈরি করে। টার্কল এটিকে ব্যাখ্যা করেছেন কারণ নিউজ-ফিডগুলো এমন তথ্য দেয় যা মিস করা অভিজ্ঞতাগুলো সন্ধান করার স্বাভাবিক প্রবণতার উপর খেলে। এটি গড় ব্যবহারকারীর সন্ধানের জন্য ট্যাগিং এবং ফটোগুলোর মাধ্যমে একটি নতুন এবং অপ্রতিরোধ্য ইভেন্ট স্মৃতি তৈরি করে এবং ভয় পায় যে তারা অনুপস্থিত রয়েছে এবং সম্ভবত বর্তমানে অনুপস্থিত।
==== উপসংহার ====
.
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বর্তমান অনলাইন সংস্কৃতিতে একটি নতুন এবং গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করেছে যা আমাদের প্রজন্মের বাস্তব জীবনের সংস্কৃতিতে উপচে পড়েছে। বাউড্রিলার্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং সর্বদা চালু সংস্কৃতি দ্বারা সরবরাহিত তথ্য এবং উদ্দীপনার এই অতিরিক্ত সমালোচনা করেছেন, কারণ এটি প্রদত্ত তথ্যের আধিক্য যা বাস্তব জীবনের সম্পর্ক এবং বাস্তব জীবনের সাথে আমাদের সম্পর্কের প্রতি অনিশ্চয়তা তৈরি করে। তিনি দাবি করেন যে এটি 'হাইপার-ইনফরমেশন' যা ব্যবহারকারীদের দরকারী এবং আলোকিত তথ্য সরবরাহ করার দাবি করে তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম প্ল্যাটফর্ম এবং এমনকি প্রযুক্তিগত স্থানগুলোতে সত্যই একটি বিশৃঙ্খলা তৈরি করে। তবে এটি আমাদের সুবিধার জন্য যে এই স্থানগুলো একটি নির্দিষ্ট স্তরের বোঝাপড়া এবং দায়িত্বের সাথে ব্যবহার করা যেতে পারে। অবশ্যই একটি যুক্তি তৈরি করা যেতে পারে যে, তথ্যের অতিভারের এই নেতিবাচক ফলাফল সত্ত্বেও আমরা আমাদের চেয়ে জ্ঞানী এবং জ্ঞান এবং তথ্যের একটি সাধারণ সংগ্রহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সংস্কৃতির জন্য উপকারী হতে পারে।
=== বিশ্বাসযোগ্য বনাম মিথ্যা তথ্য ===
.<blockquote>''"প্রতারণামূলক তথ্য থেকে বিশ্বাসযোগ্যকে কীভাবে আলাদা করা যায় তা কোনও নতুন সমস্যা নয়, তবে একটি বিশাল দ্রুত পরিবর্তনশীল নেটওয়ার্ক সিস্টেমের প্রেক্ষাপটে এগুলো উন্মোচন করা"'' - নিকোলাস সি বারবুলস</blockquote>যে কেউ ইন্টারনেটে যেকোনো কিছু দিতে পারে। দৈনন্দিন জীবনে এত জ্ঞান এবং ডেটা অ্যাক্সেসের সাথে, কখনও কখনও আমাদের থামতে হবে এবং বিশ্বাসযোগ্য জ্ঞান এবং ডেটা হিসাবে বিবেচিত কী তা নিয়ে চিন্তা করতে হবে। দ্য অক্সফোর্ড ইংরেজি অভিধান বিশ্বাসযোগ্য শব্দটি হিসাবে সংজ্ঞায়িত করে "বিশ্বাসযোগ্য হতে সক্ষম, আত্মবিশ্বাসকে ন্যায়সঙ্গত করে; বিশ্বাসযোগ্যভাবে সৎ, নীতিগত, বা খাঁটি এবং প্রায়ই, একটি অনুক্রম হিসাবে, সঠিক; বিশ্বাসযোগ্য, নির্ভরযোগ্য। তথ্য ফিল্টারিং এবং কোনটি বিশ্বাসযোগ্য এবং কোনটি মিথ্যা তা কীভাবে মূল্যায়ন করা যায় তা জানা গুরুত্বপূর্ণ।
সমালোচনা এবং ব্যাখ্যামূলক তত্ত্বের অধ্যাপক নিকোলাস সি বার্বলস তার গবেষণা পত্র "প্যারাডক্সেস অফ দ্য ওয়েব: দ্য এথিক্যাল ডাইমেনশনস অফ ক্রেডিবিলিটি" তে বিশ্বাসযোগ্য দৃষ্টিকোণ থেকে ইন্টারনেট কেন একটি জটিল জায়গা তার তিনটি কারণ উল্লেখ করেছেন।
:# ইন্টারনেটে নিছক ভলিউমের সমস্যা রয়েছে
:# ইন্টারনেট একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ রেফারেন্স সিস্টেম
:# ইন্টারনেট দ্রুত গতিতে বাড়ছে
ইন্টারনেটে তথ্যের ওপর কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। যে কারণে কোনও উত্স বিশ্বাসযোগ্য কিনা তা সনাক্ত করার সময় কিছু প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা উচিত। এর উৎস কে প্রকাশ করছে এবং এর উদ্দেশ্য কী? লেখক কে এবং তারা কি সুপরিচিত? তথ্যটি কোথা থেকে আসছে এবং এটি কি প্রমাণ দ্বারা সমর্থিত?
==== দেশীয় বিজ্ঞাপন ====
.
কোন তথ্য বিশ্বাসযোগ্য তা সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় সংকেত এবং লক্ষণগুলো নির্দেশ করতে সক্ষম হওয়া গুরুত্বপূর্ণ। কোনটি সংবাদ এবং কোনটি মতামত এবং পক্ষপাত বিবেচনা করা তা জানা একটি কঠিন কাজ। এমনকি সুপরিচিত সংবাদ সূত্রও তাদের বিশ্বাসযোগ্যতা নষ্ট করেছে। এটি প্রমাণিত হয়েছিল যখন আটলান্টিক ম্যাগাজিন চার্চ অফ সায়েন্টোলজির বিজ্ঞাপনে একটি "নিবন্ধ" পোস্ট করেছিল। তারা নেটিভ অ্যাডভার্টাইজিং নামে একটি পদ্ধতি ব্যবহার করেছিল।
আল্টিমিটার গ্রুপ নেটিভ বিজ্ঞাপনকে "রূপান্তরিত মিডিয়ার একটি রূপ হিসাবে সংজ্ঞায়িত করে যা প্রদত্ত এবং মালিকানাধীন মিডিয়াগুলোকে বাণিজ্যিক বার্তাপ্রেরণের একটি রূপে একত্রিত করে যা একটি নির্দিষ্ট বিতরণ প্ল্যাটফর্মের সাথে সম্পূর্ণরূপে সংহত এবং প্রায়ই অনন্য। সায়েন্টোলজি নিয়ে একটা নিউজ আর্টিকেল দেখে যেটা মনে হতে পারে সেটা আসলে কেনা মিডিয়া। নেটিভ বিজ্ঞাপনকে বিভ্রান্তিকর এবং অবিশ্বাস্য হিসাবে দেখা যেতে পারে। একটি বিশ্বাসযোগ্য সংবাদ উৎস অবশ্যই তার শ্রোতাদের কাছে স্বচ্ছ হতে হবে। আজকের যুগে আমরা নেটিভ বিজ্ঞাপনের মতো ধারণাগুলো সর্বদা পপ আপ করতে দেখছি এবং তথ্য গবেষণা করার সময় ভোক্তাদের আরও বেশি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
=== রাজনৈতিক মেরুকরণ ===
.
পিউ রিসার্চ সেন্টারের নতুন প্রমাণ বলছে, ডিজিটাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলো অনিচ্ছাকৃতভাবে আমেরিকায় রাজনৈতিক মেরুকরণ ঘটাতে পারে। গবেষণাটি রাজনৈতিক বর্ণালীটির উভয় প্রান্তে আমেরিকানরা সংবাদ মাধ্যম, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং পরিবার এবং বন্ধুদের সাথে কথোপকথনসহ তথ্য পাওয়ার প্রাথমিক উপায়গুলো অন্বেষণ করে। এর অনুসন্ধানগুলো প্রমাণ করে যে আরও সামঞ্জস্যপূর্ণ উদার এবং রক্ষণশীল দৃষ্টিভঙ্গির লোকদের মিডিয়া অভ্যাসগুলো মিশ্র বা কেন্দ্রবাদী দৃষ্টিভঙ্গির লোকদের সাথে যথেষ্ট পরিমাণে পৃথক হয়। শিক্ষাবিদদের সর্বসম্মত অবস্থান সত্ত্বেও যে রাজনৈতিক অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ইতিবাচক প্রভাব রয়েছে, আমেরিকা এবং অন্যান্য উন্নত দেশগুলোতে উদ্বেগ বাড়ছে যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম প্ল্যাটফর্মের ফর্ম্যাটটি রাজনৈতিক ইস্যুতে জনসাধারণের আলোচনার ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
ফেসবুক এখন আমেরিকার রাজনীতির খবর পাওয়ার দ্বিতীয় জনপ্রিয় মাধ্যম, স্থানীয় টেলিভিশনের সামান্য পিছনে। সংবাদ মাধ্যম হিসেবে টুইটার বা ইউটিউবের মতো অন্য যেকোনো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সাইটের চেয়ে এটি অনেক বেশি জনপ্রিয়। ফেসবুকের সহজ ইউজার ইন্টারফেস এটিকে প্রায় প্রতিটি জনসংখ্যার কাছে অত্যন্ত অ্যাক্সেসযোগ্য হওয়ার অনুমতি দিয়েছে এবং এর ফলস্বরূপ এটি যুক্তিযুক্তভাবে 'সর্বদা-চালু' সংস্কৃতির অন্যতম প্রধান হয়ে উঠেছে। ফেসবুক প্রোফাইলগুলো ব্যবহারকারীর উত্পাদিত তথ্য দ্বারা ভাগ করা বা 'বন্ধুদের' দ্বারা 'পছন্দ' দ্বারা গঠিত হয়। ফেসবুকে রাজনৈতিক সংবাদ তাই মূলত ব্যক্তির পছন্দের বন্ধু দ্বারা প্রভাবিত হয়। ফেসবুক পদ্ধতিগত অ্যালগরিদমও ব্যবহার করে যা ব্যবহারকারীরা কী ধরণের সামগ্রী পছন্দ বা ভাগ করে নিচ্ছে তা ট্র্যাক করে যাতে তারা আপনাকে এই ধরণের সামগ্রী আরও বেশি দিতে পারে। ফেসবুকে রাজনৈতিক খবরও তাই আপনার আচরণের উপর ভিত্তি করে। বিন্যাসের এই শৈলীর ফলাফল হলো লোকেরা রাজনৈতিক সংবাদ এবং মতামতের সাথে ইন্টারঅ্যাক্ট করার সম্ভাবনা কম থাকে যা তাদের নিজস্ব মতাদর্শগত বিশ্বাস এবং এজেন্ডার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। পিউ রিসার্চ সেন্টারের মতে, এই ঘটনাটি আমেরিকান রক্ষণশীলদের মধ্যে বেশি বিশিষ্ট, যাদের বিরোধী রাজনৈতিক মতামতের সাথে ফেসবুক বন্ধু থাকার সম্ভাবনা কম এবং কেবল ফেসবুকে এমন সামগ্রী দেখার সম্ভাবনা বেশি যা তাদের নিজস্ব রাজনৈতিক বিশ্বাসের সাথে খাপ খায়, তবে সামগ্রিক ফলাফলটি হলো উদারপন্থী এবং রক্ষণশীল উভয়ই ফেসবুক বা অন্যান্য সামাজিক নেটওয়ার্কিং সাইটগুলো ব্রাউজ করার সময় পৃথক ডিজিটাল গোলকের মধ্যে বাস করছেন, এবং রাজনৈতিকভাবে বিরোধী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম পোস্টগুলোর সাথে মিথস্ক্রিয়ার প্রধান ফর্মটি প্রয়োজনের পরিবর্তে সুযোগের দ্বারা। পাবলিক অ্যাফেয়ার্স কাউন্সিলের তথ্য অনুযায়ী, আমেরিকায় রাজনৈতিক মেরুকরণ ২৫ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।
=== আপত্তিকর এবং হুমকিমূলক বিষয়বস্তু ===
.
ইন্টারনেটের সমস্যাগুলোর মধ্যে একটি হলো প্রত্যেকেরই কেবল এটির অ্যাক্সেস নেই এবং ডেটা আপলোড করতে পারে যা সঠিক নাও হতে পারে, তবে প্রত্যেকে তাদের দৈনন্দিন, "বাস্তব" জীবনে কথা বলত না এমন সমস্ত কিছু, সামগ্রী এবং বিষয়গুলো আপলোড করতে পারে। এই বিষয়গুলো কখনও কখনও আক্রমণাত্মক বা এমনকি বিপজ্জনক হতে পারে। নীচে এই বিষয়গুলোর কয়েকটি উদাহরণ দেওয়া হল।
==== পর্নোগ্রাফি/যৌন নির্যাতন ====
.
পর্নোগ্রাফি হলো ম্যাগাজিন, ছবি চলচ্চিত্র ইত্যাদি যা যৌন উত্তেজনা সৃষ্টি করার জন্য নগ্ন মানুষ বা যৌন ক্রিয়াকলাপ দেখায়। ইন্টারনেটে সমস্ত ওয়েবসাইটের কমপক্ষে ১২% পর্নোগ্রাফিক সাইট এবং ৩৫% ইন্টারনেট ডাউনলোডগুলো পর্নোগ্রাফিক উপাদান। প্রতি পাঁচটি মোবাইল অনুসন্ধানের মধ্যে ১ টি পর্নোগ্রাফির জন্য এবং এক বিলিয়ন লোকের এক চতুর্থাংশ ২০১৭ সালের মধ্যে তাদের ট্যাবলেট বা মোবাইল ফোন থেকে মোবাইল প্রাপ্তবয়স্কদের সামগ্রী অ্যাক্সেস করবে বলে আশা করা হচ্ছে। পে-পার-ভিউ ইন্টারনেট সামগ্রীর বাজারের ৬৯% হলো পর্নোগ্রাফি এবং ইন্টারনেট অশ্লীল একাই প্রতি বছর ৩ বিলিয়ন ডলারের ব্যবসা।
পর্নোগ্রাফি নিজেই হুমকি নয়, তবে পর্ন ফিল্মের ৪৯% দৃশ্যে মৌখিক আগ্রাসন রয়েছে এবং এমনকি ৮৮% ভৌত আগ্রাসনের কাজ রয়েছে যা বিশেষত শিশু এবং কিশোরদের জন্য বিরক্তিকর হতে পারে এবং তারা যৌনতা সম্পর্কে একটি মিথ্যা ধারণা বিকাশ করতে পারে। পর্নোগ্রাফিতে প্রথম ইন্টারনেট এক্সপোজারের গড় বয়স ১১ বছর এবং ৮ থেকে ১৬ বছর বয়সী ১০ টির মধ্যে ৯ জন শিশু ইন্টারনেটে পর্নোগ্রাফি দেখেছে। আরেকটি সমস্যা হলো, অনেকেই পর্নোগ্রাফিতে আসক্ত হয়ে পড়েন, কারণ এটি ইন্টারনেটে সর্বত্র এবং যেকোনো সময় পাওয়া যায়। এবং ইন্টারনেট পর্নোগ্রাফির সবচেয়ে বড় অসুবিধা হল শিশু পর্নোগ্রাফির অ্যাক্সেস এবং প্রাপ্যতা। প্রতিদিন কমপক্ষে ১১৬,০০০ "শিশু পর্নোগ্রাফি" অনুসন্ধান করা হয় এবং ১০০,০০০ এরও বেশি ওয়েবসাইট অবৈধ শিশু পর্নোগ্রাফি সরবরাহ করে। সমস্ত ইন্টারনেট পর্নোগ্রাফির প্রায় ২০% শিশু জড়িত এবং প্রতি সপ্তাহে শিশু পর্নোগ্রাফির ২০,০০০ এরও বেশি ছবি অনলাইনে পোস্ট করা হয়। অধিকন্তু, ইন্টারনেট শিশু নির্যাতনের অপরাধীদের মধ্যে নেটওয়ার্কিংয়ের অনুমতি দেয় এবং ইন্টারনেটের মাধ্যমে শিশুরা যৌন হয়রানির শিকার হতে পারে, ৫ টির মধ্যে ১ শিশু (১০ থেকে ১৭ বছর বয়সী) অনলাইনে অযাচিত যৌন বার্তা পায়।
==== ঘৃণা/সহিংসতা ====
.
* '''সাইবার রেসিজম:''' বর্ণবাদ মানে তাদের সংস্কৃতি, ধর্ম, ত্বকের রঙ, জাতীয়তা বা জাতিগত পটভূমির কারণে একদল লোকের বৈষম্য। বর্ণবাদীরা প্রায়ই বিশ্বাস করে যে মানব জাতির একটি শ্রেণিবিন্যাস বিদ্যমান এবং কিছু মানুষ অন্যদের চেয়ে উচ্চতর। অন্যান্য জাতিগত গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক বা আক্রমণাত্মক আচরণ প্রায়ই এই জাতীয় চিন্তাভাবনা থেকে আসে। সাইবার বর্ণবাদ বর্ণবাদের একটি রূপ এবং বর্ণবাদ হিসাবে সংজ্ঞায়িত করা যেতে পারে যা বর্ণবাদী ছবি, ভিডিও, ব্লগ, অনলাইন মন্তব্য এবং ওয়েবসাইট সহ ইন্টারনেটে ঘটে। বেশিরভাগ বর্ণবাদী গোষ্ঠী যোগাযোগের জন্য ইন্টারনেট ব্যবহার করে (উদা: ই-মেইলের মাধ্যমে), বাণিজ্যের জন্য (যেমন বর্ণবাদী পোশাক, সঙ্গীত ইত্যাদির মতো উপাদান অর্ডার করা), তাদের ধারণা এবং প্রচার ছড়িয়ে দিতে এবং গোষ্ঠী এবং ব্যক্তিদের একত্রিত করার জন্য একটি সতর্কতা ব্যবস্থা হিসাবে। ইন্টারনেট এবং নতুন প্রযুক্তির কারণে বর্ণবাদীদের পক্ষে বর্ণবাদী বিষয়বস্তু সম্বলিত মন্তব্য প্রকাশ করা সম্ভব যা কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে হাজার হাজার লোক দেখতে পারে।
* '''সন্ত্রাসবাদ:''' ১৯৯৮ সাল থেকে সন্ত্রাসী বা তাদের সমর্থকদের দ্বারা পরিচালিত ওয়েবসাইটের সংখ্যা এক ডজন থেকে বেড়ে ৭০০০ এরও বেশি হয়েছে, যার মধ্যে জিহাদপন্থী সাইটগুলোর প্রাধান্য রয়েছে। সন্ত্রাসীরা যে ইন্টারনেট ব্যবহার করে তার একটি জনপ্রিয় উদাহরণ হচ্ছে ইসলামিক স্টেট। সন্ত্রাসীদের ইন্টারনেট ব্যবহারকে ছয় ভাগে ভাগ করা যায়: প্রচারণা, অর্থায়ন, প্রশিক্ষণ, পরিকল্পনা, বাস্তবায়ন এবং সাইবার আক্রমণ। তাদের ইন্টারনেট ব্যবহারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার সামাজিক নেটওয়ার্ক। তারা আক্রমণ সমন্বয় করতে, তহবিল সংগ্রহ করতে, প্রচারণা চালাতে এবং তথ্য ভাগ করে নেওয়ার জন্য অনলাইন বার্তা বোর্ড এবং চ্যাট রুম ব্যবহার করে যেমন বোমা তৈরির টিউটোরিয়াল সরবরাহ করে বা কীভাবে অন্য দেশে নিজেকে পাচার করা যায় সে সম্পর্কে। সন্ত্রাসীরা যে ইন্টারনেট ব্যবহার করে তার একটি জনপ্রিয় উদাহরণ হচ্ছে ইসলামিক স্টেট তাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের ভিডিও প্রকাশ করছে। তারা যেসব ভিডিও প্রকাশ করে তা একদিকে মনোবল বাড়াতে সাহায্য করে, অন্যদিকে পশ্চিমা দেশগুলোর কাছে নিজেদের ক্ষমতা প্রদর্শনের পদ্ধতি। এই ভিডিওগুলো খুবই বিপজ্জনক কারন সন্ত্রাসীরা নিজেদেরকে নায়ক হিসেবে উপস্থাপন করে এবং এ কারণে আরো বেশী মানুষ, বিশেষ করে তরুণরা এগুলোতে যোগ দিতে চায়।
* '''নিজের ক্ষতি করা:''' স্ব-ক্ষতি বা স্ব-আঘাত নিজেকে আঘাত করা, আপনার দেহে ভৌত ক্ষতি করার কাজটি বর্ণনা করে। বেশিরভাগ লোক যারা নিজের ক্ষতি করে তারা নিজেরাই কেটে এটি করে তবে এর মধ্যে পোড়ানো, আঘাত করা বা হাড় ভাঙ্গা ইত্যাদিও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। নিজেকে আঘাত করার প্রধান কারণ হলো হতাশা। যুক্তরাজ্যে প্রতি ১৩০ জনের মধ্যে একজন ইচ্ছাকৃতভাবে তাদের শরীরে আঘাত করেছে। কার্ডিফ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় দেখা গেছে, মানুষ, বিশেষ করে তরুণদের নিজেদের ক্ষতি করা এবং তাদের ইন্টারনেট ব্যবহারের মধ্যে সরাসরি যোগসূত্র রয়েছে। তারা জানতে পেরেছিল যে তরুণরা প্রায়ই আঘাতের ছবি অনুসন্ধান করে এবং সেই ছবিগুলো প্রায় তাদের আত্ম-ক্ষতি অনুষ্ঠানের অংশ হয়ে যায়। অক্সফোর্ডের একটি গবেষক দল দ্বারা পর্যালোচনা করা একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে '১৫ জন কিশোর-কিশোরী যারা বিশেষত স্ব-ক্ষতি করার জন্য বিশেষত সহিংস কাজ করেছিল, তাদের মধ্যে ৮০% বলেছে যে তারা আগে থেকেই নিজের ক্ষতি করার জন্য অনলাইনে গিয়েছিল। ৩৪ জন যারা কাটছাঁট করে নিজের ক্ষতি করেছেন, তাদের মধ্যে ৭৩ শতাংশ বলেছেন যে তারা অনলাইনে এটি নিয়ে গবেষণা করেছেন।
** '''আত্মহত্যা:''' ২০১২ সালে যুক্তরাজ্যে ৫.৯৮১ জন আত্মহত্যা করেছে এবং অনেক লোক ইন্টারনেট এবং আত্মহত্যার মধ্যে সম্ভাব্য সংযোগের আশঙ্কা করছে। আপনি যখন গুগলে "আত্মহত্যার ওয়েবসাইটগুলো" অনুসন্ধান করেন তখন প্রায় ৩৪.৪০০.০০০ ফলাফল পাওয়া যায়। বিশ্বজুড়ে কয়েক হাজার আত্মহত্যার ওয়েবসাইট রয়েছে। তাদের মধ্যে কিছু হতাশা বা আত্মঘাতী চিন্তাভাবনাযুক্ত লোকদের জন্য কেবল একটি ফোরাম যদি তারা তাদের অনুভূতি সম্পর্কে কথা বলতে পারে এবং তাদের সাহায্যের প্রস্তাব দেওয়া হয়। তবে এমন অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে যা আত্মহত্যা করার বিষয়ে প্রকৃত পরামর্শ দেয় এবং দুর্বল লোকদের উত্সাহিত করে। অস্ট্রেলিয়ায় এই আত্মহত্যাপন্থী ওয়েবসাইটগুলো বহু বছর আগে নিষিদ্ধ করা হয়েছে, তবে যুক্তরাজ্যে তারা অবৈধ নয়। ২০১৪ সালে হাজিমে সুয়েকি আত্মহত্যা সম্পর্কিত ইন্টারনেট ব্যবহার নিয়ে তার গবেষণা সম্পর্কে নিবন্ধ প্রকাশ করেছিলেন। তার গবেষণার উপর ভিত্তি করে তিনি এই সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে "আত্মহত্যার চিন্তাধারা, হতাশা, উদ্বেগ এবং একাকীত্ব নির্দিষ্ট ধরণের আত্মহত্যা-সম্পর্কিত ইন্টারনেট ব্যবহারের সাথে বৃদ্ধি পায়"। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর এভিডেন্স বেসড ইন্টারভেনশনের অধ্যাপক পল মন্টগোমারি বলেন, 'আমরা এটা বলছি না যে, ইন্টারনেটে যেসব তরুণ ইন্টারনেটে যায় তাদের আত্মহত্যা বা নিজের ক্ষতি করার ঝুঁকি বাড়ে। আমরা দুর্বল তরুণদের সম্পর্কে কথা বলছি যারা নিজেদের ক্ষতি করার বিষয়ে আরও জানার জন্য অনলাইনে যাচ্ছে বা কারণ তারা ইতিমধ্যে আত্মহত্যার কথা বিবেচনা করছে। প্রশ্ন হচ্ছে, অনলাইন কনটেন্টগুলো কি সাড়া ফেলে যাতে তারা আত্মহত্যা করে নাকি আত্মহত্যা করে, এবং আমরা খুঁজে পেয়েছি যে সেখানে একটি যোগসূত্র রয়েছে।
** '''খাওয়ার ব্যাধি:''' খাওয়ার ব্যাধিগুলোর অর্থ অল্প সময়ের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে খাওয়া বা খুব কম খাওয়া তবে নন-ফুড আইটেমগুলোও খাওয়া হতে পারে। এই রোগগুলোর মধ্যে সর্বাধিক জনপ্রিয় সম্ভবত বুলিমিয়া যেখানে লোকেরা প্রচুর পরিমাণে খায় এবং তারপর এটি থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য উদ্দেশ্যমূলকভাবে বমি করে। আত্মহত্যার ওয়েবসাইটগুলোর মতো, যারা খাওয়ার ব্যাধিতে ভুগছেন তাদের সহায়তা দেওয়ার জন্য অনেকগুলো ফোরাম রয়েছে তবে তাদের উত্সাহিত করার জন্য অনেক দিকও রয়েছে। আপনি যদি "পাতলা এবং সুন্দর" শব্দগুলো গুগল করেন তবে প্রথম দুটি ফলাফল প্রো-আনা, যার অর্থ প্রো-অ্যানোরেক্সিয়া, ওয়েবসাইট। জেনিফার ভ্যান পেল্ট, এমএ অনুমান করেছেন যে "শত শত প্রো-আনা এবং প্রো-মিয়া ওয়েব সাইট সক্রিয় এবং শত শত, যদি হাজার হাজার না হয়, ব্লগ, ফোরাম এবং ইন্টারনেটপন্থী চিত্রের লিঙ্ক দেয় যা তরুণ সাইবার প্রজন্মের দ্বারা সহজেই সনাক্ত করা যায়"। এই ওয়েবসাইটগুলো ওজন হ্রাস করার পদ্ধতি সম্পর্কে পরামর্শ দেয় এবং পাঠকদের তাদের বন্ধুবান্ধব বা পরিবারের কাছ থেকে কীভাবে এটি লুকিয়ে রাখতে হয় তা বলে। কিছু ওয়েবসাইট দাবি করে যে যারা খাওয়ার ব্যাধিতে ভুগছেন তাদের অসুস্থতা থেকে মুক্তি পেতে যেমন "স্বাস্থ্যকর" খাওয়ার টিপস দিয়ে তবে আসলে আনাপন্থী। অন্যান্য ফোরাম এবং ব্লগগুলো "ডায়েট সাইড" হওয়ার ভান করে। এই প্রো-ইটিং ডিসঅর্ডার ওয়েবসাইটগুলো লোকেদের আরও বেশি ওজন হ্রাস করতে উত্সাহিত করে এবং তাদের বলে যে অ্যানোরেক্সিয়া বা বুলিমিয়ার মতো ব্যাধিগুলো অসুস্থতা নয় বরং জীবনযাত্রা।
=== ভোগবাদ অনলাইন ===
.
ইন্টারনেট আরও বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে, বিজ্ঞাপন এবং প্রচারের জন্য ভিত্তি হিসাবে এর শক্তি বিস্ফোরিত হয়েছে। একজন মানুষ সপ্তাহে গড়ে ২০ ঘণ্টা ইন্টারনেটে ব্যয় করে, যা ১০ বছর আগের তুলনায় তিনগুণ বেশি। কোম্পানি, ওয়েবসাইট এবং প্রায় সবাই ইন্টারনেটের বিপণন সম্ভাবনা দেখেছে এবং ফলস্বরূপ, বিপণন এবং প্রচারের একটি ধ্রুবক প্রবাহ এড়ানো প্রায় অসম্ভব। অনুসন্ধান, সাইন আপ, নিবন্ধন, সুপারিশ, রেটিং হলো সমস্ত কেন্দ্রীয় ক্রিয়াকলাপ যা অনলাইন মিডিয়ার ব্যবহারকারীকে অবশ্যই জমা দিতে হবে। এই অনুশীলনগুলো ভোক্তা আচরণের ডেটা সরবরাহ করে মান তৈরি করে যা পরে অনুসন্ধান অ্যালগরিদমগুলোতে ফিরে আসে, আরও বেশি লক্ষ্যযুক্ত বিজ্ঞাপনকে সম্ভব করে তোলে। ব্যবহারকারীর আচরণ পরিমাপ করা এবং তাদের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা বিজ্ঞাপনদাতারা অনলাইনে দর্শকদের লক্ষ্য করার মূল উপায় । এটি একটি সাম্প্রতিক ঘটনা - টেলিভিশন এবং সংবাদপত্রগুলোতে বিজ্ঞাপন কেন্দ্রীভূত করার সময় ব্যবহারকারীর ডেটা সংগ্রহ এবং সংরক্ষণ করা অনেক কঠিন ছিল। আজকাল, তবে কোনও ব্যবহারকারী অনলাইনে যা কিছু করে তা সংগ্রহ করা হয় এবং সংস্থাগুলোর কাছে বিক্রি করা হয় যাতে তারা লক্ষ্যযুক্ত বিজ্ঞাপনগুলো তৈরি করতে পারে যা ব্যবহারকারীর চিত্রের সাথে খাপ খায় যা তারা সংগ্রহ করা ডেটার উপর ভিত্তি করে তৈরি করে। সংস্থাগুলো এখন কোনও অনলাইন ব্যবহারকারীর প্রায় সমস্ত কিছুতেই অ্যাক্সেস পায়।
তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বিতর্কিত এবং উত্তপ্ত বিতর্কিত মামলাগুলোর মধ্যে একটি হলো ফেসবুক। ২০১৫ সালে বেলজিয়ামের ডেটা প্রোটেকশন এজেন্সি ফেসবুকের ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহের পদ্ধতি নিয়ে গবেষণা শুরু করে। পরবর্তী প্রতিবেদনে দেখা গেছে যে আপনি যখন ফেসবুকে সাইন ইন করেন তখন ফেসবুক কেবল অনলাইনে আপনি যে কোনও জায়গায় যা করেন তা ট্র্যাক করে না, তবে আপনি সাইন আউট হয়ে গেলেও এটি সমস্ত কিছু ট্র্যাক করে। তদুপরি, ফেসবুক তাদের ওয়েবসাইট পরিদর্শন করে এমন যে কোনও ব্যক্তির কাছ থেকে ডেটা ট্র্যাক করতে পারে (এবং করে) এমনকি যদি সেই ব্যক্তির ফেসবুক অ্যাকাউন্ট না থাকে বা স্পষ্টভাবে তাদের ডেটা সংগ্রহ করা থেকে বেরিয়ে আসে। গোপনীয়তা লঙ্ঘন সম্পর্কিত অনেকগুলো যুক্তি রয়েছে যা এই বিষয়ে তৈরি করা যেতে পারে। বিপণনের উদ্দেশ্যে ট্র্যাকিং কোন মুহুর্তে গোপনীয়তা লঙ্ঘন হয়ে যায়? আমরা কীভাবে জানি যে আমাদের ডেটা বিপণন ব্যতীত অন্য জিনিসগুলোর জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে না? এই প্রশ্নগুলোর চূড়ান্তভাবে উত্তর দেওয়া প্রায় অসম্ভব কারণ, যেহেতু এটি একটি নতুন এবং আধুনিক উন্নয়ন, ডেটা ট্র্যাকিংয়ের আশেপাশের নিয়মগুলো খুব অস্পষ্ট এবং যে সংস্থাগুলো ডেটা সংগ্রহ করে তারা কীভাবে এবং কী করে সে সম্পর্কে সোচ্চার ডেটা ট্র্যাকিং ইন্টারনেটের ভোক্তাকরণের সূচনা মাত্র।
== নগদীকরণ অ্যাক্সেস ==
.
যদিও ইন্টারনেটে প্রবেশাধিকারের উৎপত্তি ওপেন সোর্স প্রযুক্তিতে, যেখানে ইন্টারনেটের নৈতিকতা ইন্টারনেটকে উন্মুক্ত এবং বিনামূল্যে ব্যবহারের চারপাশে ঘোরে, ইন্টারনেটে মানুষের অ্যাক্সেস থেকে বাণিজ্যিকীকরণ এবং মুনাফা অর্জনের প্রচেষ্টা বিশাল। নেট নিরপেক্ষতা এবং কপিরাইট হলো অনলাইনে পাওয়া ইন্টারনেট ব্যবহার এবং তথ্য বাণিজ্যিকীকরণ এবং নগদীকরণের পুঁজিবাদী প্রচেষ্টাকে ঘিরে দুটি সাম্প্রতিক বিতর্ক। এই বিতর্কগুলো বর্তমান- কোনওটিরই বয়স চার বছরের কম নয়। ইন্টারনেট অর্থনীতিবিদ এবং পুঁজিপতিদের জন্য নতুন সীমানা এবং তারা আর্থিক সাবস্ক্রিপশনের বিনিময়ে অ্যাক্সেস সীমাবদ্ধ করার চেষ্টা করে।
=== নেট নিউট্রালিটি ===
.
নেটওয়ার্কগুলো ইন্টারনেটে অ্যাক্সেসের একটি মূল অংশ - তথ্য অ্যাক্সেস করার জন্য, নেটওয়ার্কের সাথে সংযুক্ত হওয়া প্রয়োজন। প্রযুক্তিগত নেটওয়ার্কগুলো কীভাবে চালানো উচিত এবং কীভাবে সেগুলো তৈরি করা উচিত তা নিয়ে বর্তমানে একটি বিতর্ক চলছে। কে পাবে কোন প্রবেশাধিকার? বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি বিভিন্ন গোষ্ঠী থেকে আসে - প্রযুক্তি সংস্থাগুলো, প্রতিষ্ঠিত মিডিয়া কর্পোরেশন এবং ব্যবহারকারীরা নিজেরাই। কে কী অ্যাক্সেস পাবে তা বিবেচনা করার সময় সরকারকে অবশ্যই এই সমস্ত দৃষ্টিভঙ্গি বিবেচনায় নিতে হবে। উদাহরণস্বরূপ, অস্ট্রেলিয়া এই নেটওয়ার্কগুলো নির্মাণের জন্য সরাসরি অর্থায়ন করে কারণ এটি তাদের "অর্থনৈতিক অবকাঠামো" এর মূল অংশ হিসাবে বিবেচনা করে। যখন বেসরকারী সংস্থাগুলো এই নেটওয়ার্কগুলোর মালিক হয়, তখন পরবর্তী প্রশ্নটি কীভাবে এই নেটওয়ার্কগুলো ব্যবহার করা যেতে পারে ... এবং কিভাবে তাদের নগদীকরণ করা যেতে পারে।
নেট নিরপেক্ষতা হলো ধারণাটি যে সমস্ত পরিষেবা সরবরাহকারীদের ডেটা একই আচরণ করা উচিত এবং সমস্ত প্রক্রিয়াকরণ এবং স্থানান্তর গতি নির্দিষ্ট সামগ্রীতে একই হওয়া উচিত। সমস্ত ডেটা একই হিসাবে বিবেচনা করা উচিত যাতে এটির সকলের একই স্থানান্তর গতি থাকে, যার অর্থ এক টুকরো ডেটা অন্যের উপরে অগ্রাধিকার দেওয়া যায় না। এই পৃথিবী আমাদের এখন - আমাদের সবার সমান প্রবেশাধিকার রয়েছে। এটি বাকস্বাধীনতাকে সুরক্ষা দেয় এবং নেটওয়ার্কগুলো উন্মুক্ত রয়েছে তা নিশ্চিত করে। নেট নিরপেক্ষতার অর্থ হলো ইন্টারনেট পরিষেবা সরবরাহকারীদের [আইএসপি] ব্যবহারকারী অনলাইনে কী বলে বা পোস্ট করে এবং কীভাবে সেই সামগ্রী অন্যের কাছে স্থানান্তরিত হয় সে সম্পর্কে বৈষম্যমূলক অ্যাক্সেস থাকা উচিত নয়। এটি ইন্টারনেটে তথ্য প্রবাহকে সুরক্ষা দেয়। এটি ছাড়াই, আইএসপিগুলো ইন্টারনেটকে "দ্রুত" এবং "ধীর" লেনে বিভক্ত করতে পারে। এর অর্থ হলো কিছু ডেটা অগ্রাধিকার পাবে এবং দ্রুত নেটওয়ার্কগুলোতে চলে যাবে। একটি আইএসপি তার সাথে দ্বিমত পোষণ করে এমন রাজনৈতিক মতামতকে অবরুদ্ধ করতে পারে, দ্রুত চিকিত্সা পছন্দ করতে পারে এমন সংস্থাগুলোতে ফি চার্জ করতে পারে এবং অন্য সবাইকে "ধীর" লেনে রাখতে পারে। এটি সংক্ষেপে, উন্মুক্ত ইন্টারনেটকে ধ্বংস করতে পারে, যেমনটি আমরা জানি।
গুগলের প্রাক্তন সিইও এরিক শ্মিট (উদ্ধৃত ''মিডিয়া কনভারজেন্স: নেটওয়ার্কড মিডিয়া ইন এভরিডে লাইফ'') বিষয়টি এভাবে ব্যাখ্যা করেছেন:<blockquote>আজ, ইন্টারনেট একটি তথ্য মহাসড়কের মতো যেখানে যে কেউ - যত বড় বা ছোট, যতই ঐতিহ্যগত বা অপ্রচলিত হোক না কেন - সমান অ্যাক্সেস রয়েছে। কিন্তু তারপরে ফোন এবং তারের একচেটিয়া, যারা প্রায় সমস্ত ইন্টারনেট অ্যাক্সেস নিয়ন্ত্রণ করে, তারা উচ্চ গতির লেনগুলোতে কে অ্যাক্সেস পাবে এবং কার সামগ্রী প্রথম এবং দ্রুততম দেখা যায় তা চয়ন করার ক্ষমতা চায়। তারা দ্বিস্তরীয় ব্যবস্থা তৈরি করতে চায় এবং যারা অর্থ প্রদান করতে পারে না তাদের জন্য অন-র্যাম্পগুলো ব্লক করতে চায়।</blockquote>নেট নিরপেক্ষতা - বা ওয়েবে সমস্ত স্তরের তথ্যে উন্মুক্ত প্রবেশাধিকার - অনেকের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। উদাহরণস্বরূপ, ছোট ব্যবসাগুলো তাদের কোম্পানি শুরু করার জন্য ইন্টারনেটের উপর নির্ভর করে। ব্যবসা লঞ্চ, গ্রাহক যোগাযোগ, পণ্য বিতরণ ইত্যাদি সবই ওয়েবের মাধ্যমে করা হয়। উন্মুক্ত ইন্টারনেট ছাড়া, লোকেরা তাদের ওয়েবসাইটগুলো খুঁজে পেতে সক্ষম হবে না বা অ্যাক্সেস ধীর এবং পদ্ধতিগত হবে। নেট নিউট্রালিটি নতুন বা প্রতিষ্ঠিত সবার জন্য খেলার মাঠ উন্মুক্ত রাখে। এটিই নতুন উদ্যোক্তাদের বিশিষ্টতার জন্য লড়াই (যতটা কঠিন) না করেই শুরু করতে সক্ষম করে তোলে। এটি ছাড়া, আইএসপিগুলো নতুন ব্যবসা চালু করা থেকে বিরত রেখে দ্বাররক্ষী হিসাবে কাজ করবে। এটি রঙিন এবং অন্যান্য সংখ্যালঘুদের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। নেট নিরপেক্ষতা ছাড়া, অজনপ্রিয় মতামতকে চুপ করিয়ে দেওয়া যেতে পারে এবং সংখ্যালঘুদের লোকেরা তাদের শোনার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম হারাবে। মূলধারার মিডিয়াতে তাদের কাছে অনেকগুলো সম্প্রচার স্টেশন উপলব্ধ না থাকায় ইন্টারনেট একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম যেখানে লোকেরা শোনা যায় এবং ধারণা এবং গল্পগুলো বিনিময় করা যায়। এছাড়াও, নেট নিরপেক্ষতা অপসারণের ফলে সংখ্যালঘুদের দ্বারা ছোট ব্যবসাগুলো আরও বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হবে এবং প্রথম বিশ্বের অনেক দেশে অর্থনৈতিক বৈষম্য আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে।
==== নেট নিরপেক্ষতা বিতর্ক ====
.
প্রথম এফসিসি নীতির অর্থ হলো ইন্টারনেট পরিষেবা সরবরাহকারীদের সমস্ত সামগ্রীকে সমানভাবে আচরণ করতে হয়েছিল কারণ এটিই ইন্টারনেটের ভিত্তি ছিল। মানুষ যা খুশি দৌড়াতে পারে এবং কাউকে অন্য কারও চেয়ে "দ্রুত লেন" এ রাখা যায় না। ২০১৪ সালের শেষের দিকে এবং ২০১৫ সালের গোড়ার দিকে, আইএসপিগুলো প্রশ্ন করতে শুরু করে যে তারা এই সুবিধার জন্য অর্থ প্রদান করতে পারে এমন লোকদের কাছে দ্রুত ইন্টারনেট রেট চার্জ করতে পারে কিনা।
নেট নিরপেক্ষতার ধারণাটি এফসিসি (ফেডারেল কমিউনিকেশনস কমিশন) এর ২০১০ সালের "ওপেন ইন্টারনেট অর্ডার" এ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। কিন্তু এটি বড় সংস্থাগুলোর দ্বারা বড় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছিল এবং ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বরে ভেরাইজনের বিরুদ্ধে একটি মামলায় হেরে যায়। ভেরাইজন - এবং নেট নিরপেক্ষতার বিরুদ্ধে অন্যান্য বড় নাম সংস্থাগুলো - তারা যে নেটওয়ার্কগুলো সরবরাহ করছে তার উপর আরও নিয়ন্ত্রণ চায়। কেউ কেউ দাবি করেন যে "নেট নিরপেক্ষতার প্রয়োজনীয়তা অসাংবিধানিক"। কেউ কেউ যুক্তি দেখান যে তাদের "নির্মূল আরও কাজের সুযোগ আনবে"। বিতর্কটি মূলত নিয়ন্ত্রণের ধারণার উপর নির্ভর করে - যে সংস্থাগুলো কোটি কোটি টাকা দিয়েছে তারা তাদের বিনিয়োগ নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হতে চায়।
নেট নিরপেক্ষতার সমর্থকরা মূলত ইন্টারনেটের গতি নিয়ন্ত্রণের ধারণার বিরোধী - তারা ইন্টারনেটকে "একটি উপযোগিতা হিসাবে দেখেন, যা স্বতন্ত্র শিক্ষা, কাজ, নাগরিক অংশগ্রহণ এবং মুক্ত মতপ্রকাশের পাশাপাশি অর্থনৈতিক প্রতিযোগিতা এবং উদ্ভাবনের জন্য প্রয়োজনীয়"। অন্য কথায়, সম্পদ এবং নাগরিক বিভাজন জুড়ে অনেক লোকের জন্য ইন্টারনেট এত গুরুত্বপূর্ণ যে দ্রুত এবং ধীর লেনগুলো রয়েছে, যা মানুষকে সম্পদ এবং আয়ের দ্বারা বিভক্ত করে।
এফসিসি যখন এই বিষয়ে জনসাধারণের মন্তব্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিল, তখন এটি নেট নিরপেক্ষতার তৃণমূল সমর্থক গোষ্ঠীগুলোর কাছ থেকে অপ্রতিরোধ্য প্রতিক্রিয়া পেয়েছিল। এটি "৩.৭ মিলিয়ন মন্তব্য প্রকাশ করেছে, পাশাপাশি টুইটারে বিতর্কের ঝড় এবং প্রেস কভারেজের তুষারপাত" এবং এমনকি রাষ্ট্রপতি ওবামা নেট নিরপেক্ষতার ধারণাকে সমর্থন করেছেন।
নাইট ফাউন্ডেশনের ইন্টারেক্টিভ গ্রাফিকটি নেট নিরপেক্ষতা বিতর্ককে একটি সহজ, সহজেই অনুসরণ করা ইন্টারেক্টিভ উপস্থাপনায় বিভক্ত করে। এর মূল অনুসন্ধান ছিল যে জনমতের অপ্রতিরোধ্য পরিমাণ মৌলিকভাবে নেট নিরপেক্ষতার পক্ষে ছিল - লোকেরা ইন্টারনেটকে "আছে" এবং "নেই" এর আরেকটি পুঁজিবাদী বিভাজনে ভাঙতে চায় না। তবে নাইট ফাউন্ডেশনের সমীক্ষা অনুসারে, পুরুষ এবং শহুরে কণ্ঠস্বর প্রায় সম্পূর্ণরূপে শোনা গেছে - স্থানীয় সম্প্রদায়গুলো এই বিষয়ে মন্তব্য করার জন্য চাপ দেওয়া হয়নি।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, এই লড়াইটি প্রো-নেট নিরপেক্ষতা সমর্থকদের পক্ষে সমর্থন পেয়েছে, তবে আসন্ন ভবিষ্যতে এটি পরিবর্তন হতে পারে।
==== নেট নিরপেক্ষতা আইন (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে) ====
.
গ্লোবাল নেট নিউট্রালিটি কোয়ালিশনের একটি ইন্টারেক্টিভ মানচিত্র রয়েছে যেখানে এটি বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে নেট নিরপেক্ষতা আইনগুলো (নেট নিরপেক্ষতার পক্ষে এবং বিপক্ষে উভয়ই) ভেঙে দেয়। এটি বিশ্বজুড়ে সম্পর্কিত বিতর্ক সম্পর্কে আরও গভীর তথ্য রয়েছে, এটি প্রমাণ করে যে ইন্টারনেট মহাসড়কে অ্যাক্সেস এখনও একটি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ, শক্তিশালী বিষয়।
=== কপিরাইট ===
.
কপিরাইট- বা বরং, কোনও লেখকের কাজের উপর আইনী সুরক্ষা রাখার কাজটি - এমন একটি আইন যা কাজটিকে "বৌদ্ধিক সম্পত্তি যা লেখকের জন্য একচেটিয়া প্রকাশনা, বিতরণ এবং ব্যবহারের অধিকার সরবরাহ করে" করে তোলে। কপিরাইট মুদ্রণযন্ত্রের আবিষ্কারের পর থেকে জনপ্রিয় আখ্যানের অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে এবং প্রথম বইগুলো বিশ্বজুড়ে প্রকাশিত ও প্রচারিত হতে শুরু করে। ১৭৮৮ সালে যখন মার্কিন সংবিধান অনুমোদন করা হয়, তখন অনুচ্ছেদ ১, ধারা ৮ কংগ্রেসকে 'লেখক ও উদ্ভাবকদের তাদের নিজ নিজ লেখা এবং আবিষ্কারের একচেটিয়া অধিকার সীমিত সময়ের জন্য সুরক্ষিত করে বিজ্ঞান এবং দরকারী শিল্পের অগ্রগতি প্রচার করার' ক্ষমতা দেয়। লেখকের (বা স্রষ্টার) ''শ্রম'' রক্ষার জন্য এটি আইনে পরিণত করা হয়েছিল। লেখকদের স্বার্থের সাথে ভোক্তা ও সমাজের চাহিদার ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য মূল আইনটি তৈরি করা হয়েছিল। এমন কিছু উত্পাদন করার বিনিময়ে যা সমস্ত সমাজের মঙ্গল বৃদ্ধি করবে, লেখকদের তাদের কাজের দখল দেওয়া হয়েছিল, সম্পত্তির একটি ফর্মের মতো। আশা করি, এটি তাদের আরও কাজ করতে অনুপ্রাণিত করবে।
ডঃ রেমন্ড শিহ রে কু তার নিবন্ধে, ''কপিরাইটের সৃজনশীল ধ্বংস: নেপস্টার এবং ডিজিটাল প্রযুক্তির নতুন অর্থনীতি,'' ব্যাখ্যা করেছেন যে কপিরাইট লেখকের অধিকারকে সুরক্ষিত করে তবে পণ্যটির প্রকাশক / পরিবেশকের অধিকারের উপর আরও বেশি মনোনিবেশ করে। যদিও ধারণাগুলো অগণিত এবং বিনামূল্যে, কোনও পণ্য বিতরণ ব্যয়বহুল হতে পারে। কপিরাইট একটি বাজারকে লেখকের কাজগুলোর চারপাশে উপস্থিত হওয়ার অনুমতি দেয় কারণ এটি "কৃত্রিমভাবে এই কাজগুলোকে দুর্লভ এবং একচেটিয়া করে তোলে"। দ্য ''এক্সক্লুসিভ রাইট টু রিডের'' লেখক জেসিকা লিটম্যান যুক্তি দেন যে "কারও অভিব্যক্তি ব্যবহারের বিপণনযোগ্য অধিকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে কপিরাইট ধারণাগুলো তৈরি এবং প্রচারের জন্য অর্থনৈতিক উত্সাহ সরবরাহ করে"। কপিরাইট আইন ছাড়া, একজন লেখকের পক্ষে লেখকের রচনা তৈরি করতে তাদের সময় ব্যয় করা আরও কঠিন হবে।
তাহলে, নতুন ডিজিটাল প্রযুক্তি আবিষ্কারের সাথে কী হবে? ডঃ রেমন্ড শিহ রে কু, পূর্বে উল্লিখিত যুক্তি দিয়েছিলেন যে কপিরাইট আইন দ্রুত নিজেকে "ডিজিটাল দ্বিধায়" খুঁজে পেয়েছিল। প্রযুক্তি পণ্যের জন্য অর্থ প্রদান না করেই কপিরাইটযুক্ত তথ্যের '''চূড়ান্ত অ্যাক্সেস''' তৈরি করেছে। প্রায় "আলোর গতিতে" যে কোনও ধরণের ডিজিটাল সৃজনশীলতার (সংগীত, বই, ভিডিও ইত্যাদি) প্রায় সীমাহীন অনুলিপি তৈরি করতে সক্ষম,[ বিতরণকারীদের পক্ষে তাত্ক্ষণিকভাবে মূলটির প্রায় নিখুঁত অনুলিপি তৈরি করা অবিশ্বাস্যরকম সহজ হয়ে ওঠে। ২০০১ সালে ডঃ শিহ রে কু তার নিবন্ধে যুক্তি দিয়েছিলেন যে অনুলিপি করা এত সস্তা এবং সহজ যে এটি যে কেউ করতে পারে। "বাইনারি ডিজিটে তথ্য হ্রাস" [ এবং তাদের পুনরুত্পাদন করে, ডিজিটাল মিডিয়া কোনও ভৌত ফর্মের প্রয়োজন ছাড়াই সহজেই স্থানান্তর করা যায়, হার্ড ড্রাইভ, মেমরি স্টিক ইত্যাদিতে সংরক্ষণ করা যায় এটি নিন এবং এটি আজকের সাথে তুলনা করুন, ২০১৬ সালে, এবং এটি সম্ভবত প্রায় দ্বিগুণ বা তিনগুণ।
কপিরাইট সমস্যা নিয়ন্ত্রণকারী কর্মকর্তাদের কাছে এটি বিপজ্জনক, কারণ কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট সংযোগ সহ যে কেউ পাইরেটেড মিডিয়ার সম্ভাব্য পরিবেশক হতে পারে। যাইহোক, এটি অ্যাক্সেস বনাম সীমাবদ্ধতার প্রশ্নটি উন্মুক্ত করে। ডিজিটাল কাজগুলো কি আদৌ কপিরাইটের আওতায় আনা উচিত? কপিরাইট মূলত তৈরি করা হয়েছিল কারণ বিতরণ ব্যয়বহুল ছিল এবং লেখক / প্রযোজকদের অর্থোপার্জনের প্রয়োজন ছিল। যদিও ধারণাগুলো অবাধে ছড়িয়ে পড়তে পারে, বই এবং অ্যালবামের মতো বাস্তব নথিগুলোকে একটি মূল্য দিতে হবে। কিন্তু যখন এই ব্যয় শূন্যে চলে যায়, যেমনটি মিডিয়াতে ডিজিটাল অ্যাক্সেসের ক্ষেত্রে ঘটে, তখনও কি আমাদের কপিরাইট ফি দিতে হবে? শেষ পর্যন্ত, এটি আইন এবং রাজনীতি, প্রযুক্তি নয়, যা উত্তরটি নির্ধারণ করবে।
==== কপিরাইট বিতর্ক ====
.
ডিজিটাল কপিরাইট বিতর্কে দুটি ভিন্ন দিক রয়েছে, যাদের ডঃ শিহ রে কু আদর করে "কপিরাইট আশাবাদী" এবং "কপিরাইট হতাশাবাদী" শিরোনাম দিয়েছেন। আশাবাদীরা মনে করেন যে আইনটি ডিজিটাল প্রযুক্তিকে বিনামূল্যে অনুলিপি করার জন্য ব্যবহার করা থেকে বিরত রাখা উচিত এবং ডিজিটাল সামগ্রী লক করার জন্য প্রযুক্তি ব্যবহারের লেখকের অধিকারকে স্বীকৃতি দেওয়া উচিত। পল গোল্ডস্টেইন, লেখক ''কপিরাইট হাইওয়ে'' যুক্তি:<blockquote>ডিজিটাল ভবিষ্যত হলো কপিরাইটের দীর্ঘ গতিপথের পরবর্তী এবং সম্ভবত চূড়ান্ত, পর্যায়, রাজনৈতিক সার্বভৌম বা পৃষ্ঠপোষকদের হস্তক্ষেপ থেকে মুক্ত লেখকদের তাদের শ্রোতাদের সাথে সংযুক্ত করার আইনটির প্রাথমিক লক্ষ্যকে নিখুঁত করে। প্রধান চ্যালেঞ্জ হবে এই গতিপথ বজায় রাখা [...] এবং প্রতিটি কোণে অধিকার প্রসারিত করা যেখানে ভোক্তারা সাহিত্য এবং শৈল্পিক কাজ থেকে মূল্য অর্জন করে।</blockquote>সঙ্গীত এবং ডিজিটাল লেখকত্বের অন্যান্য রূপগুলোর ডিজিটাল ভাগ করে নেওয়া সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ করার পরিবর্তে, কপিরাইট আশাবাদীরা পল গোল্ডস্টেইনকে "স্বর্গীয় জুটবক্স" বলে অভিহিত করতে চান - অনলাইনে একটি বিকল্প যেখানে ডিজিটাল মিডিয়ার বিভিন্ন রূপ পাওয়া যায় এবং ভোক্তাদের প্রতি ব্যবহারের জন্য অর্থ প্রদান করতে হয়। এই মানসিকতার অধীনে, যে কাজগুলো ঐতিহাসিকভাবে কপিরাইটের "ন্যায্য ব্যবহার" মতবাদের অধীনে "মুক্ত" হিসাবে বিবেচিত হয়েছে (একটি টিভি শো রেকর্ড করা, বন্ধুদের সাথে ভাগ করে নেওয়ার জন্য একটি সংবাদপত্র অনুলিপি করা, বা মিক্স টেপ / সিডি তৈরি করা) কপিরাইট লঙ্ঘন হিসাবে বিবেচিত হবে।
এছাড়াও, এটি কপিরাইট আশাবাদী যারা বুঝতে পারে যে প্রযুক্তি তথ্য বিতরণের উপর বৃহত্তর নিয়ন্ত্রণের অনুমতি দিতে পারে। '''শিফটিং দ্য পসিবল: হাউ ট্রাস্টেড সিস্টেমস অ্যান্ড ডিজিটাল প্রপার্টি রাইটস চ্যালেঞ্জ আস টু রিথিংক ডিজিটাল পাবলিশিং''<nowiki/>' বইয়ের লেখক মার্ক স্টেফিকের মতে, "লেখক এবং প্রকাশকরা কম্পিউটার কোড এবং এনক্রিপশনের মাধ্যমে তাদের কাজের উপর আরও বেশি নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারেন, কম নয়" যা "ডিজিটাল সামগ্রীতে অননুমোদিত অ্যাক্সেস" রোধ করতে ব্যবহার করা যেতে পারে।
অন্যদিকে, কপিরাইট হতাশাবাদীরা রয়েছে, যা "ফেয়ার ইউজ রেসপন্স" নামেও পরিচিত। তারা একটি ধারণা এবং বৌদ্ধিক সম্পত্তির সুরক্ষা হিসাবে কপিরাইটের বিরুদ্ধে নয়, তবে তারা "কপিরাইট আশাবাদীদের" মতো এটি প্রসারিত করতে চায় না। তারা বিশ্বাস করে যে কপিরাইট হওয়া উচিত:<blockquote>একটি গণতান্ত্রিক দৃষ্টান্তের অধীনে ব্যাখ্যা করা হয়েছে যা স্বনির্ভর লেখক, বৈচিত্র্য এবং তথ্য প্রচারের একটি ব্যবস্থাকে সমর্থন করার উপায় হিসাবে কপিরাইট বজায় রাখার প্রয়োজনীয়তাকে স্বীকৃতি দেয় যখন এখনও কপিরাইটের গণতন্ত্র-বর্ধনকারী ফাংশনের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ সীমা আরোপ করে।</blockquote>এর অর্থ হলো কপিরাইট লেখকদের সমর্থন করার এবং তারা যা কিছু তৈরি করে তার অধিকার দেওয়ার একটি উপায় হওয়া উচিত, তবে গণতান্ত্রিক সভ্যতায় অন্য কোনও নাগরিককে সীমাবদ্ধ বা দমন না করার জন্য এটি সীমাবদ্ধ হওয়া উচিত। তারা মনে করেন যে কপিরাইটটি "একটি প্রাণবন্ত পাবলিক ডোমেনের পরিবর্তে" সরানো উচিত এবং যদি কপিরাইটের সম্প্রসারণ ঘটে তবে এটি "জনসাধারণ লেখকের কাজগুলোর বৈধ ব্যবহার হিসাবে বিবেচনা করে তা প্রতিফলিত করা উচিত"।
এই দুটি পক্ষ "ইনসেন্টিভ-অ্যাক্সেস" প্যারাডক্স নামে পরিচিত যা তৈরি করে, যেখানে "সৃজনশীলতাকে উত্সাহিত করা জনসাধারণের অ্যাক্সেসের ব্যয়ে আসে তবে কাজগুলোতে অযৌক্তিক অ্যাক্সেসের অনুমতি দেওয়া ভবিষ্যতের কাজ তৈরির উত্সাহকে হ্রাস করে"। জনসাধারণের প্রবেশাধিকার এবং সৃজনশীলতার মধ্যে এই বৈপরীত্যটি এই বিতর্কের কব্জা এবং কপিরাইট এবং ডিজিটাল প্রযুক্তি ঠিক কীভাবে ফিট করে তার উত্তর এখনও কাজ করা হয়নি। কপিরাইটের অপব্যবহার নিয়ে মামলাগুলো ডিজিটাল ইতিহাসে ছড়িয়ে পড়েছে, এমনকি সম্প্রতি পর্যন্ত। উত্তর এখনও মেলেনি।
==== অনলাইন পাইরেসি অ্যাক্ট বন্ধ করুন: একটি বিতর্ক ====
কপিরাইট বিতর্কের দুই পক্ষের একটি বিশিষ্ট উদাহরণ ২০১২ সালে আমেরিকায় ঘটেছিল। সম্ভাব্য আইন: "স্টপ অনলাইন পাইরেসি অ্যাক্ট" নিয়ে এই বিতর্কে, আমেরিকান নাগরিক এবং ব্যবসায়ীরা মিডিয়াতে প্রবেশের অধিকার রক্ষার চেষ্টা করার জন্য সরকার এবং বড় মিডিয়া কর্পোরেশনগুলোর বিরুদ্ধে লড়াই করেছিল। এই বিলটি ''অত্যন্ত'' বিতর্কিত ছিল এবং একটি বড় হৈচৈ সৃষ্টি করেছিল।
"প্রস্তাবিত বিল যা পাইরেটেড সামগ্রীর হোস্ট বা ট্রেডিং সহজতর করে এমন সাইটগুলোতে অ্যাক্সেস সীমাবদ্ধ করে কপিরাইট লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে ক্র্যাক করার লক্ষ্যে" হিসাবে লেবেলযুক্ত, বিলটি টরেন্টহাব এবং পাইরেটবেয়ের মতো বিদেশী ওয়েবসাইটগুলোকে লক্ষ্য করে যেখানে ব্যবহারকারীরা সাম্প্রতিক এবং অতীতের মিডিয়া উত্সগুলোতে বিনামূল্যে অ্যাক্সেস করতে পারে এবং কপিরাইট প্রদান না করেই এটি ডাউনলোড করতে পারে। আমেরিকান সরকার এই সাইটগুলো সরাসরি বন্ধ করতে পারে না, কারণ তাদের সার্ভারগুলো আমেরিকান এখতিয়ারের বাইরে অনেক দেশে হোস্ট করা হয়। "স্টপ অনলাইন পাইরেসি অ্যাক্ট" পরিবর্তে এই সাইটগুলো বন্ধ করে দেবে যেখানে তারা আমেরিকান নাগরিকদের কাছে পৌঁছেছে - সার্চ ইঞ্জিনগুলো তাদের সামগ্রী প্রদর্শন করবে না, PayPal অর্থ প্রদান করবে না ইত্যাদি। পেমেন্ট এবং বিজ্ঞাপন ওয়েবসাইটগুলোকেও অবহিত করা হবে যদি তাদের কোনও গ্রাহক সাইট "মার্কিন সম্পত্তি চুরির জন্য উত্সর্গীকৃত" হয় এবং সেই সাইটে অবিলম্বে পরিষেবাগুলো বন্ধ করতে বাধ্য হয়।
বিলের বিরোধীরা যুক্তি দিয়েছিলেন যে এটি সেন্সরশিপকে উত্সাহিত করেছিল এবং অনিচ্ছাকৃত পরিণতিতে পূর্ণ বলে লেখা হয়েছিল। শব্দটি বিতর্কের একটি বিষয় ছিল - সাইটগুলো সম্ভাব্যভাবে সমস্যায় পড়তে পারে যদি এটি কপিরাইট লঙ্ঘনকে "সহজতর" করে। এর অধীনে, ব্যবহারকারীরা কপিরাইটযুক্ত সামগ্রী পোস্ট করলে ইউটিউবের মতো সাইটগুলো অবিলম্বে বন্ধ হয়ে যাবে, এমনকি যদি এটি কোনওভাবেই এই আচরণটি প্রচার না করে। "নেটকোয়ালিশন" শিরোনামে একটি সোপা বিরোধী গ্রুপ যুক্তি দিয়েছিল যে "আইনটি পদ্ধতিগতভাবে কপিরাইটের মালিকদের বৌদ্ধিক সম্পত্তির অধিকারকে সমর্থন করে এবং বিনিময়ে অভিযুক্ত ওয়েবসাইটগুলোর মালিকদের তাদের অধিকার ছিনিয়ে নেয়"।
বিলটি অনলাইন ব্যবসায়ের অধিকার বনাম বৌদ্ধিক সম্পত্তির অধিকার নিয়ে হলিউড এবং সিলিকন ভ্যালির মধ্যে একটি বড় লড়াই তৈরি করেছিল। বিলটির সমর্থকরা যুক্তি দেখিয়েছেন যে "অনলাইন পাইরেসি মার্কিন চাকরি হারানোর দিকে পরিচালিত করে কারণ এটি সামগ্রী নির্মাতাদের আয় থেকে বঞ্চিত করে"। সোপা এর উদ্দেশ্য ছিল "একটি ভাঙা কপিরাইট সিস্টেম পুনর্নির্মাণ" যা "অপরাধমূলক আচরণ প্রতিরোধ করে না"। বিরোধীরা হলিউড এবং মিডিয়া কর্পোরেশনগুলোকে অভিযুক্ত করে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিল যে তারা "ইন্টারনেটের আর্কিটেকচার বোঝে না" এবং তাই "আইনটির প্রভাবগুলো প্রশংসা করে না"। সোপা ওয়েবসাইটগুলোকে ক্রমাগত পর্যবেক্ষণ করতে হবে এবং তাই সেন্সরশিপ লঙ্ঘন এবং বাকস্বাধীনতার সীমাবদ্ধতার ঝুঁকি নেবে।
সোপা উইকিপিডিয়া, রেডিট এবং গুগলের মতো প্রযুক্তিগত কর্পোরেশন দ্বারা স্পনসর করা তৃণমূল আন্দোলনের অনেক সমর্থককে একত্রিত করেছিল। সাইট ব্ল্যাকআউট, একাধিক বড় মার্কিন শহরে (নিউ ইয়র্ক, সান ফ্রান্সিসকো ইত্যাদি) শহর বিক্ষোভ এবং পিটিশনগুলো সাত মিলিয়নেরও বেশি বিক্ষোভকারীকে আকৃষ্ট করেছিল। বিলটি স্বাক্ষরের দিন ২৪ লাখ নেতিবাচক টুইট করা হয়।
মার্কিন জনগণের হৈচৈ এবং গুগলের মতো বড় বাজেটের কর্পোরেশনগুলোর চাপের কারণে ২০১৩ সালের ২০ জানুয়ারি বিলটি উত্থাপন করা হয়। এমনকি হোয়াইট হাউসও দাবি করেছে যে বিলটি "সাইবার নিরাপত্তার জন্য সত্যিকারের ঝুঁকি তৈরি করেছে"। এমনকি আজও, বিলের নতুন সংস্করণগুলো বিবেচনা করা হচ্ছে এবং পাস করা হচ্ছে, এমনকি সোপা না হলেও
সোপা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পরাজিত হয়েছিল, একটি সংস্করণ ২০১৫ সালে অস্ট্রেলিয়ায় প্রকাশিত হয়েছিল। বিলটি "চলচ্চিত্র এবং টেলিভিশনের মতো বিষয়বস্তুর কপিরাইটধারীদের ফেডারেল কোর্টে একটি নিষেধাজ্ঞার জন্য আবেদন করার অনুমতি দেবে যা আইএসপি [ইন্টারনেট পরিষেবা সরবরাহকারী] বিদেশী ওয়েবসাইটগুলো ব্লক করতে বাধ্য করে যা পাইরেসি সহজতর করে"। ইউরোপীয় আইনগুলোও সোপাতে অনুরূপ আইনগুলো অন্তর্ভুক্ত করার জন্য প্রসারিত করা হচ্ছে, কারণ তাদের সংস্থাগুলোকে "বৌদ্ধিক সম্পত্তির অধিকার লঙ্ঘনের জন্য তাদের পরিষেবাগুলো ব্যবহার করা থেকে তৃতীয় পক্ষকে রোধ করতে" কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
এই বিল বিতর্কটি পূর্বে উল্লিখিত ""প্রণোদনা-অ্যাক্সেস" প্যারাডক্সের একটি উদাহরণ মাত্র। তথ্যে প্রবেশাধিকার কপিরাইটধারীদের অধিকারের সাথে ভারসাম্যপূর্ণ হতে হবে। গুটিকয়েক পরাশক্তির অধিকার রক্ষা কবে বহু মানুষের অধিকার রক্ষা করবে? এটি এমন একটি প্রশ্ন যা নিয়ে অনেক সরকার এখনও বিতর্ক করছে।
== ওয়েব ২.০ ==
ওয়েব ২.০ ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব থেকে বিকশিত হয়েছে এবং এটি ইন্টারনেটের অংশ। ইন্টারনেট নেটওয়ার্কগুলোর একটি সংগ্রহ যা কম্পিউটারগুলোকে একসাথে সংযুক্ত করে কম্পিউটারগুলোকে বিশ্বব্যাপী সম্মত প্রোটোকলগুলোর মাধ্যমে ডেটা প্রেরণ এবং গ্রহণ করতে সক্ষম করে। ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব হলো কম্পিউটার দ্বারা হোস্ট করা ওয়েব পৃষ্ঠাগুলোর সংগ্রহ। এটি ১৯৮৯ সালে স্যার টিম বার্নার্স-লি আবিষ্কার করেছিলেন। ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবের মূল উদ্দেশ্য ছিল বিজ্ঞানীদের পক্ষে তাদের গবেষণার ফলাফলগুলো ভাগ করে নেওয়া সহজ করা। কিন্তু তারা কেবল বিজ্ঞানীরাই ছিলেন না যারা ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব থেকে উপকৃত হয়েছিলেন, এটি প্রত্যেকের জন্য তথ্য পেতে, ভাগ করে নেওয়া এবং যোগাযোগ করা সহজ করে তুলেছিল। ২০০১ এর শরত্কালে ডট-কম বুদ্বুদ ফেটে যাওয়া ওয়েবের জন্য একটি টার্নিং পয়েন্ট হিসাবে চিহ্নিত হয়েছিল যা এটিকে আগের চেয়ে আরও গুরুত্বপূর্ণ করে তুলেছে।
টিম ও'রিলি এবং ডেল ডগের্টি ২০০৪ সালে একটি বুদ্ধিদীপ্ত বৈঠকে ওয়েব ২.০ তৈরি করেছিলেন। পরে সেই বছরই এটি জনসাধারণের কাছে চালু করা হয়েছিল। ওয়েব ২.০ এর একটি সুনির্দিষ্ট সংজ্ঞা নেই, এ কারণেই কিছু লোক এটিকে একটি অর্থহীন বিপণন বাজওয়ার্ড হিসাবে বিবেচনা করে অন্যরা এটি একটি নতুন প্রচলিত জ্ঞান হিসাবে গ্রহণ করে। ওয়েব ২.০ এর কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা এটি সংজ্ঞায়িত করে এবং এটি ওয়েব ১.০ থেকে আলাদা করে তোলে। এই বৈশিষ্ট্যগুলো হিসাবে তালিকাভুক্ত করা যেতে পারে:
:# সাশ্রয়ী স্কেলেবিলিটি সহ পরিষেবাগুলো
:# অনন্য ডেটা উত্সগুলোর উপর নিয়ন্ত্রণ করুন যা আরও বেশি লোক তাদের ব্যবহার করার সাথে সাথে সমৃদ্ধ হয়
:# কো ডেভেলপার হিসাবে ব্যবহারকারীদের বিশ্বাস করা
:# সম্মিলিত বুদ্ধিমত্তাকে কাজে লাগানো
:# একটি একক ডিভাইসের স্তরের উপরে সফটওয়্যার
:# লাইটওয়েট ইউজার ইন্টারফেস, ডেভেলপমেন্ট মডেল এবং ব্যবসায়িক মডেল।
ওয়েব ২.০ এমন একটি সফটওয়্যারের ধারণার উপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছিল যা ক্রমাগত আপগ্রেড এবং উন্নত করা হচ্ছে। এটি আর পিসি প্ল্যাটফর্মগুলোতে সীমাবদ্ধ ছিল না; ওয়েব এখন ফোন এবং ট্যাবলেট সহ একাধিক ডিভাইসের সাথে অ্যাক্সেস করা যায়। ওয়েবের লিঙ্ক কাঠামো ব্যবহার করে অনুসন্ধানে গুগলের যুগান্তকারী আবিষ্কার ওয়েবের গবেষণা এবং ব্যবহারকে আরও সহজ করে তুলেছে। ওয়েব মানুষকে দ্রুত এবং সহজে তথ্য অ্যাক্সেস করতে সক্ষম করেছে।
ওয়েব ১.০ থেকে ২.০ এ স্থানান্তর সহ-সৃজনশীলতা, অংশগ্রহণ এবং উন্মুক্ততা দ্বারা চিহ্নিত করা হয়। নতুন সফটওয়্যারটি সামাজিক নেটওয়ার্কিং সাইটগুলো, ব্লগিং এবং ট্যাগিং সমর্থন করে এবং বিশেষ প্রযুক্তিগত দক্ষতা ছাড়াই লোকেদের পক্ষে সামগ্রী তৈরি করা সম্ভব করে তোলে। ওয়েব ২.০ সামগ্রী তৈরির গতিশীলতা এমনভাবে পরিবর্তন করেছে যে প্রাক্তন শ্রোতারা এখন সিদ্ধান্ত নেয় যে কোনটি গুরুত্বপূর্ণ। জ্ঞান এবং তথ্য নিয়ন্ত্রণকারী কোনও বাহ্যিক কর্তৃপক্ষ নেই; ব্যবহারকারীরা সেই ভূমিকা নিয়েছেন। সহ-সৃজনশীলতা এবং সৃষ্টি প্রক্রিয়ায় ক্ষমতা সম্পর্কের সমতুল্যতার ধারণা ওয়েব ২.০ কে সংজ্ঞায়িত করে। ওয়েব ব্যবহারকারীর কার্যকলাপের প্রতিক্রিয়া হিসাবে বৃদ্ধি পায়; ডেটা উত্সগুলো আরও সমৃদ্ধ হয় যত বেশি লোক তাদের ব্যবহার করে। ওয়েব ২.০ সম্মিলিত বুদ্ধিমত্তাকে কাজে লাগাচ্ছে, ওয়েবকে এক ধরনের বৈশ্বিক মস্তিষ্কে পরিণত করছে।
=== জ্ঞান সৃষ্টি ===
.
ইন্টারনেটের যুগে দর্শকদের ভূমিকা উল্লেখযোগ্যভাবে পরিবর্তিত হয়েছে। ঐতিহ্যগতভাবে মানুষ মিডিয়াতে প্রযোজক বা শ্রোতা (ভোক্তা বা রিসিভার নামেও পরিচিত) হিসাবে অংশগ্রহণ করত। শ্রোতারা পাঠ্যগুলো নিয়ে আলোচনা করেছিলেন এবং সেগুলো ব্যবহার করেছিলেন, তবে তারা নিজেরাই মিডিয়া তৈরি করেননি। ১৯৯০ সালে যখন পাবলিক ইন্টারনেট যে কারও পক্ষে মিডিয়া সামগ্রী প্রকাশ করা সম্ভব করে তোলে, তখন ভোক্তা এবং প্রযোজকদের মধ্যে পার্থক্য ধসে পড়ে।
ইন্টারনেটে অ্যাক্সেস সহ আরও বেশি সংখ্যক লোক ইন্টারনেট সামগ্রী প্রকাশ করতে শুরু করে। আগের নিষ্ক্রিয় শ্রোতারা সক্রিয় হয়ে ওঠেন। প্রযোজক এবং দর্শকদের মধ্যে যোগাযোগের চক্রটি উভয়ের মধ্যে লাইনটি হ্রাস করে উদ্ভূত হয়েছিল। গত দশকে, যখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং ব্যবহারকারী-চালিত প্ল্যাটফর্মগুলো জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে, এমনকি শ্রোতা এবং সামগ্রীর মধ্যে পার্থক্যও ঝাপসা হতে শুরু করেছে। প্রাক্তন শ্রোতারা সক্রিয়ভাবে ডেটা তৈরি করছেন এবং তাদের জ্ঞান ভাগ করে নিচ্ছেন। এখন মানুষ কেবল মিডিয়া পাঠ্য প্রকাশ করতে পারে না, তবে মিডিয়া উত্পাদনের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে এমন প্রোগ্রাম, সফটওয়্যার উপাদান এবং ওয়েব পরিষেবাদিগুলোর নকশাতেও অংশ নিতে পারে।
নতুন জ্ঞান তৈরি করার জন্য সহযোগিতা ইন্টারনেটের অংশ। উইকিপিডিয়া সহযোগিতার উপর নির্ভর করে এবং এটি সাধারণত বিবেচনা করা হয় যে একাধিক অবদান তার অংশগুলোর চেয়ে বেশি জ্ঞানের সমষ্টি তৈরি করে . নতুন জ্ঞান উৎপাদনের ক্ষেত্রে শিক্ষাবিদ এবং অ-একাডেমিকদের মধ্যে সহযোগিতা প্রয়োজন। যুক্তি দেওয়া হয়েছে যে বিজ্ঞান আজ পোস্ট-একাডেমিক। এই মোড ২ ধরণের জ্ঞান অ্যাপ্লিকেশনের প্রেক্ষাপটে উত্পন্ন হয়, প্রতিচ্ছবি এবং মান নিয়ন্ত্রণের নতুন ফর্মগুলোর উপর ভিত্তি করে। ডিজিটাল মিডিয়া কাজের সমন্বয় সাধন এবং ফলাফল বিতরণে সহায়তা করে সহযোগিতায় ভূমিকা রাখে। মনে হয়, শিক্ষাবিদদের আর জ্ঞানের একচেটিয়া অধিকার নেই।
==== ব্যবহারকারী-উত্পাদিত সামগ্রী ====
.
প্রতি মিনিটে হাজার হাজার ওয়েবলগ পোস্ট, মন্তব্য, ভিডিও ক্লিপ এবং ছবি তৈরি করা হয়। নতুন প্রযুক্তি ব্যবহারকারীদের ইন্টারনেটে সামগ্রী প্রকাশ করতে সক্ষম করেছে। বিষয়বস্তু ক্রমবর্ধমান "ব্যবহারকারীদের উপর "ধাক্কা" পরিবর্তে তাদের দ্বারা টানা হয়। ব্যবহারকারীদের দ্বারা তৈরি সামগ্রীটিকে ব্যবহারকারী-উত্পাদিত সামগ্রী হিসাবে উল্লেখ করা হয়।
ওয়েব ২.০ ব্যবহারকারী-উত্পাদিত সামগ্রীর জন্য উত্সাহজনক প্ল্যাটফর্ম সরবরাহ করে। এর প্লাটফর্ম হলেও প্রায় সবকিছুই করা যায়। এটি মিথস্ক্রিয়া করার অনুমতি দেয়। ওয়েবের মাধ্যমে তথ্য আবিষ্কার ও গ্রহণ করা যায় এবং তাৎক্ষণিকভাবে প্রকাশ করা যায়। পাঠ্য, ছবি এবং ভিডিওগুলো শূন্যের কাছাকাছি প্রান্তিক ব্যয়ের সাথে ভাগ করা যেতে পারে, যা ব্যবহারকারীদের তাদের যা আছে তা ভাগ করে নিতে উত্সাহ দেয়। মন্তব্য করা, সংশোধন করা এবং অতিরিক্ত সামগ্রীতে লিঙ্ক যুক্ত করা, মূল টুকরোটি পরিবর্তিত হয়। একাধিক অবদান থাকার অর্থ অনেকের জ্ঞান একত্রিত করা, যা তার অংশগুলোর চেয়ে বৃহত্তর জ্ঞানের সমষ্টি তৈরি করার কথা। এইভাবে ব্যবহারকারী উত্পন্ন সামগ্রীও সম্মিলিত বুদ্ধিমত্তাকে কাজে লাগাচ্ছে।
ওয়েব ২.০ যুগের একটি উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হচ্ছে ব্লগিং এর উত্থান। ম্যান্ডিবার্গ জ্ঞান সৃষ্টিতে একটি ভূমিকা পালন করতে বিবেচনা করেন:<blockquote>"ওয়েব ২.০ এর একটি অপরিহার্য অংশ যদি সম্মিলিত বুদ্ধিমত্তাকে কাজে লাগায়, ওয়েবকে এক ধরণের বৈশ্বিক মস্তিষ্কে পরিণত করে, তবে ব্লগোস্ফিয়ার অগ্রমস্তিষ্কে ক্রমাগত মানসিক বকবকের সমতুল্য।</blockquote>.
ব্লগিং কেবল ব্যবহারকারীদের বিভিন্ন বিষয়ে তাদের চিন্তাভাবনা এবং মতামত পোস্ট করছে না, এটি ইন্টারনেটকে রূপদান করছে। ব্লগাররা ওয়েবে সবচেয়ে বিশাল এবং সময়োপযোগী লিঙ্কার। অনুসন্ধান ইঞ্জিনগুলো দরকারী পৃষ্ঠাগুলোর পূর্বাভাস দেওয়ার জন্য ওয়েবের লিঙ্ক কাঠামো ব্যবহার করে। অতএব, ব্লগাররা সার্চ-ইঞ্জিন ফলাফল এবং অন্যান্য ব্যবহারকারীদের জ্ঞান আকার দিচ্ছেন। সকল ব্লগারের সম্মিলিত বুদ্ধিমত্তাকে কাজে লাগিয়ে ব্লগিং এক ধরনের ফিল্টার হিসেবে কাজ করছে।
ব্যবহারকারী-উত্পাদিত সামগ্রী প্রশংসিত এবং সমালোচিত উভয়ই হয়েছে। এর ইতিবাচক প্রভাব রয়েছে। এটি প্রত্যক্ষ গণতন্ত্র এবং তৃণমূল সক্রিয়তাকে সক্ষম করে। এটি সৃজনশীল প্রকাশের জন্য একটি ক্ষেত্র সরবরাহ করে এবং বিদ্যমান মিডিয়া বিতরণ একচেটিয়াকে বাইপাস করে। তবে এটি আন্তঃপ্যাসিভিটিও সংযুক্ত, জ্ঞান এবং ঘনত্বের উপর দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতিকারক প্রভাব। ব্যবহারকারী উত্পন্ন সামগ্রী মানের জায়গা গ্রহণ করে এবং কীভাবে স্বতন্ত্র পছন্দের চাহিদা সীমা ছাড়িয়ে যায় তার জন্য সমালোচিত হয়েছে।
ব্যবহারকারী-উত্পাদিত সামগ্রী আরও জনপ্রিয় হয়ে উঠলে পেশাদার এবং অপেশাদার প্রকাশকদের পৃথক সীমানা অদৃশ্য হয়ে যায়। এটি এখন একটি শক্তিশালী নতুন তথ্য চ্যানেল হিসাবে স্বীকৃত। এছাড়াও উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক মূল্য প্রায়ই ব্যবহারকারী-উত্পাদিত সামগ্রী < দায়ী করা হয়। উইকিপিডিয়া, মাইস্পেস এবং ইউটিউবের মতো অপারেশনগুলো ব্যবহারকারী-উত্পাদিত সামগ্রীর মডেল উদাহরণ। ব্যবহারকারী-উত্পাদিত সামগ্রীর নতুন মিডিয়া যুগে প্রত্যেককে নতুন জ্ঞান ভিত্তিক ডিজিটাল অর্থনীতিতে একটি ভয়েস, একটি স্থান এবং স্থান দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়।
===== পেশাদার মিডিয়াতে ব্যবহারকারী-উত্পাদিত সামগ্রী =====
.
মিডিয়া শ্রোতা এবং প্রযোজকদের মধ্যে বিবর্ণ পার্থক্য মানে প্রচলিত টপ-ডাউন সাংবাদিকতার সমাপ্তি। আজ নাগরিকরা ক্রমবর্ধমানভাবে অনলাইন সম্প্রদায়গুলোতে তাদের গল্প প্রকাশ এবং ভাগ করে নিচ্ছে। যে কেউ সম্পাদকীয় মডারেশন বা ফিল্টারিং ছাড়াই সামগ্রী আপলোড এবং প্রকাশ করতে পারে। এই অংশগ্রহণমূলক সংস্কৃতি প্রথাগত সাংবাদিকতাকে চ্যালেঞ্জ করে। সংবাদ প্রতিষ্ঠানকে অনলাইন পরিবেশের অংশগ্রহণমূলক গুণাবলী গ্রহণ ও গ্রহণ করতে হবে। উৎস হিসাবে ব্যবহারকারী-উত্পাদিত সামগ্রীর মান সর্বাধিক করার জন্য, সংবাদ সংস্থাগুলো অংশগ্রহণমূলক সাংবাদিকতার বিভিন্ন ফর্ম তৈরি করেছে।
বিবিসি ব্যবহারকারী-উত্পাদিত সামগ্রী ব্যবহারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিল। এটি তাদের দর্শকদের বিষয়গুলোতে মন্তব্য করতে বা গল্পের পরামর্শ দেওয়ার অনুমতি দেওয়ার জন্য ইতিমধ্যে ১৯৯৭ সালে বিবিসি নিউজ অনলাইন প্রতিষ্ঠা করেছিল।<blockquote>"এই প্রসঙ্গে জনসেবার অর্থ জনসাধারণের সেই অংশকে পরিবেশন করা যা বিবিসির সংবাদ সামগ্রীতে অবদান রাখতে চেয়েছিল এবং এইভাবে একই সাথে জনসাধারণের সেই অংশটি যারা তাদের সংবাদ ডায়েটের অংশ হিসাবে এটি গ্রহণ করতে চেয়েছিল" - ম্যাকনায়ার, পুনর্বিবেচনা সাংবাদিকতা, ২০১৩, পৃষ্ঠা ৮২।</blockquote>এছাড়াও অন্যান্য পেশাদার মিডিয়া সংস্থাগুলো তাদের সংস্থান এবং অনুশীলনগুলোকে পাঠকদের সাথে একত্রিত করছে যারা সংবাদযোগ্য গল্প এবং কোণগুলো অনুসন্ধান করে। ব্যবহারকারী উত্পাদিত সামগ্রী এবং ওয়েব ২.০ প্ল্যাটফর্মগুলো জরুরি বা সঙ্কট ইভেন্টগুলোর কভারেজে সবচেয়ে দরকারী এবং দৃশ্যমান বলে প্রমাণিত হয়েছে। যখন সাংবাদিকরা অ্যাকশন যেখানে হতে পারে না, তখন ব্যবহারকারী-উত্পাদিত সামগ্রী সময়, সীমাবদ্ধতা এবং ভৌত দূরত্ব অতিক্রম করতে পারে। অংশগ্রহণমূলক সাংবাদিকতার সবচেয়ে জনপ্রিয় ফর্মগুলোর মধ্যে একটি হলো সংবাদ নিবন্ধগুলোর সাথে সংযুক্ত মন্তব্য বিভাগ। তারা শ্রোতাদের প্রতিক্রিয়া এবং মন্তব্য করার পাশাপাশি একে অপরের সাথে এবং সাংবাদিকদের সাথে সংবাদ নিয়ে বিতর্ক এবং আলোচনা করার সুযোগ দেয়।
ইউজার-জেনারেটেড কনটেন্টের মান, সংবাদযোগ্যতা, বিশ্বাসযোগ্যতা এবং শালীনতা নিয়ে উদ্বেগের কারণে সাংবাদিক ও সম্পাদকরা দর্শকদের বিষয়বস্তুর সাথে সাংবাদিকতার বিষয়বস্তু একীভূত করার বিষয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। ইউজার জেনারেটেড কনটেন্টকে বিনামূল্যে শ্রম হিসেবেও দেখা হচ্ছে, যা পেশাদার সাংবাদিকতাকে হুমকির মুখে ফেলছে। তবে অন্যরা মনে করেন যে বিশ্বায়িত জনসাধারণের ক্ষেত্রটি সামগ্রী-উত্পাদক ব্যবহারকারীদের কাছে অ্যাক্সেসযোগ্য হওয়া উচিত এবং পেশাদার সাংবাদিকদের তত্ত্বাবধায়কের ভূমিকা গ্রহণ করা উচিত এবং তথ্য বিশৃঙ্খলার শৃঙ্খলা এবং অর্থ আনতে তাদের দক্ষতা ব্যবহার করা উচিত। ব্যবহারকারী-উত্পাদিত সামগ্রী পেশাদার সাংবাদিকতার জন্য দরকারী হতে পারে।
ব্যবহারকারী-উত্পাদিত সামগ্রী সম্পর্কে আরও পাওয়া যাবে এখান থেকে
==== ওয়েবে সহযোগিতা ====
আজকাল 'শেয়ার' এবং 'সহযোগিতা' শব্দগুলোর ক্ষেত্রে একটি বিভ্রান্তি রয়েছে বলে মনে হচ্ছে। সেই বিভ্রান্তি তৈরি হয় ইউজার জেনারেটেড কনটেন্ট ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে। কোনও সামগ্রী ভাগ করে নেওয়া সরাসরি সহযোগিতার দিকে পরিচালিত করে না। সহযোগিতার জন্য কিছু অর্জনের জন্য একাধিক লোককে একসাথে কাজ করা প্রয়োজন। ব্লগে বিষয়বস্তু সামাজিক বস্তু, এবং লেখককে সরাসরি এর সাথে দায়ী করা হয় তাই এটি আসলে সহযোগিতা নয়। এটা একান্ত স্বতন্ত্র কাজ। অন্য কথায়: যদি কাজের শরীর একা দাঁড়াতে পারে তবে এটি সহযোগী নয়। উইকিপিডিয়ার মতো সাইট যেগুলো আঁটসাঁট কন্টেন্ট-অথর লিংকের উপর জোর দেয় সেগুলো তখন দৃঢ়ভাবে সহযোগিতামূলক। তারা ছোট অবদান নিয়ে গঠিত যা সামগ্রী তৈরি করে। এই সাইটগুলোর অনেক-থেকে-অনেকের সম্পর্ক রয়েছে, যার মধ্যে অনেকগুলো বিভিন্ন ব্যবহারকারী অনেকগুলো বিভিন্ন এন্ট্রি বা প্রকল্পের সাথে যুক্ত হতে পারে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম প্ল্যাটফর্মগুলো সহযোগী হয়ে উঠতে পারে যখন তারা সমন্বয়ের একটি অতিরিক্ত স্তর যুক্ত করে যা সামগ্রীটিকে নতুন সামাজিক বস্তুতে একত্রিত করে। তারপরে সামগ্রীটি অন্যান্য অনুরূপ ইউনিটগুলোর সাথে সংযুক্ত থাকে এবং একসাথে তারা একটি বৃহত্তর চিত্র তৈরি করে। প্রতিটি ভাগ করা পৃথক ইউনিট ভাগ করা ইউনিটগুলোর একটি ক্লাস্টারে অন্তর্ভুক্ত করা হয় এবং একটি একক ব্লগ পোস্ট ব্লগোস্ফিয়ার আলোচনায় তার জায়গা নেয়।
জোনাস লওগ্রেন এবং বো রেইমার সমসাময়িক মিডিয়াকে সংজ্ঞায়িত করতে "সহযোগী মিডিয়া" শব্দটি চালু করেছেন। "নিউ মিডিয়া" সমসাময়িক মিডিয়া এবং সমসাময়িক মিডিয়া অনুশীলনগুলো ক্যাপচার করার জন্য সর্বাধিক ব্যবহৃত শব্দ, তবে লওগ্রেন এবং রেইমার এটিকে একটি পুরানো শব্দ হিসাবে বিবেচনা করেছিলেন। "সহযোগী মিডিয়া" শব্দটি মিডিয়ার কর্ম-ভিত্তিক উপাদানকে কেন্দ্র করে। সহযোগী মিডিয়া মিথস্ক্রিয়াগুলোর জন্য উন্মুক্ত যা অভিজ্ঞতা তৈরির দিকে পরিচালিত করে যা মানুষের স্বভাব এবং বিশ্বদর্শন পরিবর্তন করে। সহযোগী মাধ্যম হলো মধ্যস্থতা যোগাযোগের একটি ফর্ম যার মাধ্যমে লোকেরা বার্তা, সামগ্রী এবং অর্থে সহযোগিতা করে। কিছু মিডিয়া ফর্ম অন্যদের তুলনায় সহযোগিতার জন্য আরো উপযুক্ত, কিন্তু শুধুমাত্র যখন তারা সহযোগিতামূলকভাবে ব্যবহার করা হয় তারা সহযোগী মিডিয়া হয়ে ওঠে। এই প্রসঙ্গে ফেসবুক, টুইটার এবং অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সাইটগুলো সহযোগী মাধ্যম যদিও তারা উপরে প্রদত্ত সহযোগিতার সংজ্ঞাতে সর্বদা ফিট নাও হতে পারে।
দৈনন্দিন জীবনে সহযোগিতা সম্পর্কে আরও বিভাগে ব্যাখ্যা করা হয়েছে সহযোগিতা
===== উইকি ওয়ার্ল্ড =====
.
উইকিপিডিয়া একটি অনলাইন বিশ্বকোষ যা এর ব্যবহারকারীদের দ্বারা সম্মিলিতভাবে তৈরি করা হয়েছে। উইকিপিডিয়া একটি ওপেন সোর্স ব্যবহারকারী-উত্পাদিত জ্ঞান বিশ্বের প্রোটোটাইপিকাল মডেল। এর জনপ্রিয়তা এবং দ্রুত বৃদ্ধি ব্যবহারকারীরা যেভাবে মূল্য তৈরি করে তার একটি প্রদর্শন, যা উইকিপিডিয়ায় জ্ঞান। উইকিপিডিয়া এই ধারণার উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে যে কোনও ওয়েব ব্যবহারকারী একটি এন্ট্রি যুক্ত করতে পারে এবং অন্য যে কোনও দ্বারা সম্পাদনা করা যেতে পারে।
উইকিপিডিয়ায় একক একক শুধুমাত্র একটি বৃহত্তর সামাজিক বস্তুর অংশ হিসাবে কাজ করার জন্য তৈরি করা হয়েছে। সহযোগী বিষয়বস্তুর বাইরে এটি তার সততা হারায়। অতএব, উইকি পৃষ্ঠায় সম্পাদনাগুলো প্রসঙ্গের বাইরে থাকতে পারে না। অতএব, এটি অত্যন্ত সহযোগিতামূলক সাইট। কাজ করার জন্য সহযোগিতার লক্ষ্য প্রয়োজন। এক বা একাধিক লক্ষ্য থাকতে পারে এবং সমস্ত সম্পাদনা সেই সহযোগী লক্ষ্যগুলোকে এগিয়ে নিয়ে যায়। উইকিপিডিয়ায় লক্ষ্য হল নিবন্ধটিকে আরও সঠিক এবং বাস্তব করে তোলা। শেয়ার করা লক্ষ্য ছাড়াই সহযোগিতা দুর্বল, উদ্দেশ্যমূলক অনুশীলনে পরিবর্তিত হয়।
সহযোগী কাজের যেহেতু একাধিক উদ্দেশ্য থাকতে পারে, তাই এর বেশ কয়েকটি প্রতিক্রিয়াও থাকতে পারে। একটি একক ক্রিয়া বিভিন্ন গোষ্ঠী সমিতি বোঝাতে পারে এবং এমনকি অন্যটিকে দোষী সাব্যস্ত বা বৈধতা দিতে পারে। সহযোগিতাও বিশ্বাসের উপর নির্ভর করে। উইকিপিডিয়ায় ট্রাস্ট উইকি সম্প্রদায়ের এন্ট্রি সম্পাদনা এবং চেক করার অবৈতনিক কাজের উপর ভিত্তি করে। এই স্ব-পুলিশিং সম্প্রদায় জ্ঞান উত্পাদন পরিবেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। যেহেতু উইকিপিডিয়ার প্রতিটি সম্পাদনা সনাক্ত করা যায়, উত্পাদিত জ্ঞান স্বচ্ছ। অতএব, উইকিপিডিয়ায় অ্যাট্রিবিউশন প্রাথমিকভাবে একটি মডারেশন এবং জবাবদিহিতা হিসাবে ব্যবহৃত হয়, বিষয়বস্তুর জন্য কৃতিত্ব দাবি করার জন্য নয়।
===== সম্মিলিত বুদ্ধিমত্তা =====
.
ভিড়ের উইজডমের ধারণাটি পরামর্শ দেয় যে অনেক ব্যক্তির কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ এক ব্যক্তির তথ্যের চেয়ে উচ্চতর ফলাফল তৈরি করে। সম্মিলিত বুদ্ধিমত্তা হলো ভাগ করা জ্ঞান যা সহযোগিতা থেকে উদ্ভূত হয়।<blockquote>কেউ সবকিছু জানে না, সবাই কিছু না কিছু জানে, সব জ্ঞান মানবতার মধ্যে বাস করে। জ্ঞানের কোনও অতীন্দ্রিয় ভাণ্ডার নেই এবং জ্ঞান কেবল আমরা যা জানি তার সমষ্টি "" -লেভি, সম্মিলিত বুদ্ধিমত্তা: সাইবারস্পেসে মানবজাতির উদীয়মান বিশ্ব, ১৯৯৭, পৃষ্ঠা ১৩-১৪</blockquote>পিয়েরে লেভি ১৯৯৭ সালে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে, বুদ্ধিমত্তার বাস্তব সময়ের সমন্বয়ে ডিজিটাল যোগাযোগ পদ্ধতি জড়িত থাকতে হবে। এই নতুন যোগাযোগ ব্যবস্থাগুলো সম্প্রদায়ের সদস্যদের জ্ঞানের একই ভার্চুয়াল মহাবিশ্বে অ্যাক্সেস সরবরাহ করবে। বিভিন্ন সম্প্রদায়ের সদস্যরা তাদের যা আছে তা ভাগ করে নেওয়ার জন্য সেই সাইবারস্পেসের মধ্যে যোগাযোগ করতে সক্ষম হবেন। সাইবারস্পেস ডিটেরিটোরিয়ালাইজড বুদ্ধিমান সম্প্রদায়ের জ্ঞান এবং জ্ঞানীদের মধ্যে মিথস্ক্রিয়ার একটি জায়গার প্রতিনিধিত্ব করে। তিনি সেই সময়কে জ্ঞানের যুগ বলে মনে করতেন, যেখানে অন্যকে বুদ্ধিমান প্রাণী হিসেবে শনাক্ত করতে ব্যর্থ হওয়া আর সামাজিক পরিচয়কে অস্বীকার করা একই কথা। তিনি ভেবেছিলেন যে ইন্টারনেট সম্মিলিত বুদ্ধিমত্তাকে কাজে লাগাবে।
ওয়েব ২.০ ধারণাটি ইন্টারনেটে একটি নতুন যোগাযোগ প্ল্যাটফর্ম হিসাবে কাজ করে। এটি ব্যক্তিদের একত্রিত করতে এবং জ্ঞান উৎপন্ন করতে সক্ষম করে। জনতার জ্ঞানের তত্ত্ব অনুসারে একাধিক অবদান জ্ঞানের একটি সমষ্টি তৈরি করার কথা যা তার অংশগুলোর চেয়ে বেশি। ইন্টারনেট প্রতিনিয়ত পরিবর্তনশীল। ওয়েব ২.০ ব্যবহারকারীদের ক্রমাগত পরিবর্তন এবং সাইটগুলোতে তথ্য যুক্ত করার পাশাপাশি একে অপরের সাথে ইন্টারঅ্যাক্ট করতে সক্ষম করেছে, যা ওয়েবের জ্ঞানের প্রকৃতি পরিবর্তন করে। ওয়েবের কোনও সম্পাদকীয় নিয়ন্ত্রণ নেই তবে সামগ্রীর নিয়ন্ত্রণ ব্যবহারকারীদের মধ্যে বিতরণ করা হয়। তাই এটি অংশগ্রহণমূলক গণতন্ত্রের প্রতিনিধিত্ব করছে। এখন, ওয়েব ২.০ সম্মিলিত বুদ্ধিমত্তাকে কাজে লাগানোর সম্ভাবনা রয়েছে।
মার্ক এলসনার যুক্তি দেন যে ইন্টারনেটে তথ্য প্রচার প্রক্রিয়া নিরপেক্ষ নয়। তার গবেষণা ইঙ্গিত দিয়েছে যে প্রচার প্রক্রিয়াটি মূলত জমা দেওয়ার নেটওয়ার্কের দিকগুলো দ্বারা প্রভাবিত হয়। এই নেটওয়ার্কগুলোর উপর ভিত্তি করে কিছু ব্যবহারকারী-উত্পাদিত সামগ্রী উচ্চ স্তরের দৃশ্যমানতা অর্জন করে, অন্যরা কোনও উল্লেখযোগ্য জনসাধারণের বিজ্ঞপ্তি অর্জন না করেই দ্রবীভূত হয়। সাধারণভাবে ওয়েব ২.০ এ তথ্য প্রচারে অদক্ষতা রয়েছে তবে এটি বিশেষত ব্যবহারকারী নিয়ন্ত্রিত সামাজিক সংবাদ সাইটগুলোতে পক্ষপাতদুষ্ট। এটি ব্যবহারকারী-উত্পাদিত সামগ্রীর পক্ষে বৃহত্তর সামাজিক স্কেলে যথাযথ প্রভাব ফেলতে আরও কঠিন করে তুলতে পারে। এলসনার যুক্তি দেন যে জনতার জ্ঞানের ধারণা এবং সম্মিলিত বুদ্ধিমত্তা ওয়েবে কাজ করছে না যেমনটি তারা প্রায়ই করে বলে দাবি করা
== ডিজিটাল বিভাজন ==
.
=== ভূমিকা ===
.
ডিজিটাল ডিভাইডটি অনেকগুলো বিভিন্ন কারণের একটি পরিসীমা নিয়ে গঠিত যা বিশ্বজুড়ে অ্যাক্সেসের পার্থক্যগুলোতে অবদান রাখে। একটি উদ্ধৃতি যা এই বিভাগের বিভাজনমূলক প্রকৃতি এবং সারাংশকে সংক্ষেপ করে তা হলো 'প্রযুক্তি মানুষকে বাদ দেওয়ার পাশাপাশি তাদের একত্রিত করে। এই কেন্দ্রীয় যুক্তিটি নিম্নলিখিত উপ-বিভাগগুলোতে পাওয়া যেতে পারে কারণ আমরা নীচে উত্থাপিত এবং অন্বেষণ করা এই কয়েকটি বিষয়গুলোর ব্যাপ্তি এবং পরিণতি পরীক্ষা করি।
=== লিঙ্গ বিভাজন ===
.
প্রযুক্তির ধারণাটি হলো আমাদের নিষ্পত্তি করা নতুন প্রযুক্তির সাথে পুরানো সমস্যাগুলো সমাধান করার জন্য এটি ব্যবহার করা। তবে পুরানো বিশ্বের সমস্যাগুলো এখনও বর্তমান। প্রযুক্তি যেভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে তা হলো এটি ব্যবহার করা সহজ এবং সহজেই অ্যাক্সেসযোগ্য। কোনো সমস্যা হলে তা প্রযুক্তি দিয়ে নয়, প্রযুক্তি ব্যবহারকারীর সঙ্গে তা নয়। এটি অনেকের দ্বারা গৃহীত সাধারণ দৃষ্টিভঙ্গি। এই দৃষ্টিভঙ্গি ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে সাহায্যের প্রয়োজনের একটি ভয় তৈরি করেছে। এটি একটি লিঙ্গ যুক্তিও চ্যানেল করেছে, এমন একটি দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করেছে যে প্রযুক্তিটি মহিলাদেরই এই ভয় রয়েছে। জুডি ওয়াজম্যান "যুক্তি দিয়েছিলেন যে পশ্চিমা সমাজগুলো একটি পুরুষালী সংস্কৃতি হিসাবে প্রযুক্তিগত দক্ষতা তৈরি করে" (ওয়াজম্যান ১৯৯১, পৃষ্ঠা ১৩৭–৬১)। এটি বলছে যে এটি একটি পশ্চিমা সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি যে প্রযুক্তিকে একটি পুরুষালী সংস্কৃতি হিসাবে দেখা হয়, যদিও এমন অনেক প্রযুক্তি রয়েছে যা মহিলারা ব্যবহারে পারদর্শী। ওয়াজম্যানের যুক্তি হলো, নারীরা পুরুষের কাছে 'অন্য' হিসেবে নির্মাণ করে এবং এর ফলে 'ক্যালকুলেটেড অজ্ঞতা' তৈরি হয়। গ্রে যেমন বলেছেন, 'যদিও মহিলারা নিয়মিতভাবে গার্হস্থ্য প্রযুক্তির অত্যন্ত অত্যাধুনিক টুকরো পরিচালনা করে ... তারা প্রায়ই ভিসিআর পরিচালনা থেকে বিচ্ছিন্ন বোধ করে '(গ্রে, ১৯৮৭, পৃষ্ঠা ৪৩)।
পরিসংখ্যান প্রযুক্তিগত সংস্থাগুলোতে লিঙ্গ সম্পর্কে সমাজের দৃষ্টিভঙ্গির প্রভাব দেখায়। নারীরা বিশাল সামাজিক নেটওয়ার্ক দর্শনীয় কর্মশক্তির একটি নিম্ন অংশ, প্রযুক্তির নতুন তরঙ্গের একটি বড় অংশ।
• ইয়েল্প - প্রতি ১০ জন প্রযুক্তি কর্মচারীর মধ্যে মাত্র ১ জন মহিলা
গুগল: প্রতিষ্ঠানটির কারিগরি কর্মীদের ১৮ শতাংশই নারী
• ফেসবুক- ১৬ শতাংশ
• টুইটার - ১০ শতাংশ
এটি দেখায় যে এই সংস্থাগুলো তাদের কর্মশক্তিতে কম পরিমাণে মহিলা রয়েছে।
'''লিঙ্গ বৈষম্য শুরু হয় তাড়াতাড়ি'''
এই বিষয়ে গবেষণা দেখায় যে লিঙ্গ প্রযুক্তিগত বিভাজন অল্প বয়স থেকেই শুরু হতে পারে। প্রথম শিক্ষা থেকে ছেলে এবং মেয়েরা যেভাবে সামাজিকভাবে বিকশিত হয় তা এই লিঙ্গ স্টেরিওটাইপগুলো কার্যকর হতে শুরু করে। শিশুরা প্রযুক্তির সাথে ইন্টারঅ্যাক্ট করার প্রথম উপায়গুলোর মধ্যে একটি হলো ভিডিও গেমগুলোর মাধ্যমে, তবে এটি পুরুষদের পক্ষে আরও উপযুক্ত, প্রতিযোগিতামূলক প্রকৃতির সাথে জড়িত। সুতরাং এটি ভিডিও গেমগুলোকে মহিলাদের পরিবর্তে পুরুষদের দিকে বাজারজাত করে। এটি প্রযুক্তি ব্যবহারের সাথে পুরুষদের আরও আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠার সূচনা হতে পারে। এর উল্টোদিকে, মহিলারা ততটা আত্মবিশ্বাসী বোধ করতে শুরু করে না এবং চাপ দেয় যে তারা পুরুষদের পাশাপাশি প্রযুক্তির সাথে যোগাযোগ করবে না। বয়স বাড়ার সাথে সাথে পুরুষরা প্রযুক্তিগত ব্যবহারে আরও বেশি আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠে, অন্যদিকে মহিলাদের আত্মবিশ্বাস এবং ক্ষমতার মাত্রা হ্রাস পায়।
'''নারীর প্রযুক্তিগত প্রবেশাধিকারে বাধা'''
সাংস্কৃতিক: পুরুষ সহকর্মীদের তুলনায় মহিলাদের অধস্তন হিসাবে বেশিরভাগ সমাজের সাংস্কৃতিক দৃষ্টিভঙ্গি অ্যাক্সেসের একটি প্রধান বাধা বলে মনে হয়। যতক্ষণ পর্যন্ত নারীদের এই অধস্তন দৃষ্টিভঙ্গিতে বিভিন্ন সংস্কৃতির মধ্যে দেখা হবে, ততক্ষণ তারা প্রযুক্তিগত চাকরিতে জায়গা পেতে সর্বদা সংগ্রাম করবে। ইভান্স এবং কিং লক্ষ্য করেছেন যে তারা "শিক্ষায় মহিলাদের অংশগ্রহণের প্রায় অনতিক্রম্য বাধা" (ইভান্স এবং কিং ১৯৯১)।
অনুভূত মনোভাব: প্রাক-কল্পিত মনোভাবের মধ্যে অনেকের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে যেখানে পুরুষ এবং মহিলা প্রাক-সেট অনুমানের উপর ভিত্তি করে সফল হতে পারে যার উপর ভিত্তি করে যৌনতা আরও ভাল। এটি মহিলাদের জন্য প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে যেমন ভূমিকাগুলোতে আত্মসম্মানের অভাব যেখানে অন্যরা তাদের লিঙ্গের ভিত্তিতে কাজ করার জন্য যথেষ্ট গ্রহণযোগ্য বলে মনে করে না।
- লিঙ্গ ভূমিকা: যে মহিলারা ক্লাসে অংশ নিতে চান যা তাদের প্রযুক্তিগত দিকগুলোতে আরও জ্ঞানী হওয়ার অনুমতি দেয় সাধারণত তাদের উপর অর্পিত ভূমিকার কারণে লড়াই করে। এর একটি প্রধান উদাহরণ হলো পারিবারিক প্রতিশ্রুতি, নির্ধারিত ভূমিকাগুলো হলো মহিলারা বাড়িতে থাকে এবং পরিবারের দেখাশোনা করে, যখন পুরুষটি কাজ করতে বা শিখতে বাইরে যায়। এই চিন্তার নিদর্শনগুলো মহিলাদের জন্য বাধার আরেকটি উদাহরণ।
প্রাতিষ্ঠানিক: লিঙ্গ ভূমিকার উপর ভিত্তি করে সংস্থাগুলো এবং শিক্ষণ প্রোগ্রামগুলোর সহায়তার অভাবের কারণে এই বাধাগুলো দেখা দিতে পারে, যা মহিলাদের প্রভাবিত করে। যেমন, চাইল্ড কেয়ার সার্ভিস নেই, সন্তান আছে এমন নারী, নারী শিক্ষকের অভাব, পুরুষমুখী শিক্ষক এবং সব মিলিয়ে কোম্পানিগুলোর পুরুষ চেহারা বেশি দেখা যায়।
=== প্রজন্মগত বিভাজন ===
.
সহস্রাব্দ, অন্যথায় 'ইন্টারনেট প্রজন্ম' হিসাবে পরিচিত প্রথম প্রজন্ম ছিল যাদের ইন্টারনেটে অ্যাক্সেস ছিল। এই প্রজন্ম আরও ঘন ঘন ইন্টারনেট ব্যবহার করে এবং তাদের পূর্ববর্তী প্রজন্মের তুলনায় প্রচুর পরিমাণে উদ্দেশ্যে ওয়েব ব্যবহার করতে পছন্দ করে। তাদের ইন্টারনেটের আরও উন্নত ব্যবহার বিভিন্ন প্রজন্মের মধ্যে একটি প্রজন্মগত ডিজিটাল বিভাজন তৈরি করে। [৫]
সহস্রাব্দ এবং পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যে প্রযুক্তির ব্যবহার এত অল্প বয়সে তাদের জীবনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে যে তারা কীভাবে এটি ব্যবহার করতে হয় সে সম্পর্কে জ্ঞানের ক্ষেত্রে উচ্চতর। প্রযুক্তি আজকের সমাজের এমন একটি প্রধান অংশ, এবং কেউ মনে করবে না যে এটি মানুষকে প্রভাবিত করে তবে একটি প্রজন্মগত বিভাজন রয়েছে যা পুরানো প্রজন্মকে সহস্রাব্দের দক্ষতা থেকে আলাদা করে। প্রবীণরা এমন একটি উপবিভাগ যা এর দ্বারা প্রভাবিত হয়, তারা একটি ভিন্ন সময়ে বড় হয়েছে, এমন একটি সময় যা সর্বদা ইন্টারনেটে অ্যাক্সেস ছিল না তাই তাদের জীবনের অনেক পরে শিখতে হয়েছিল, সহস্রাব্দের চেয়ে বেশি। আজকের সমাজ হিসাবে, এর একটি বড় অংশ প্রযুক্তি ব্যবহারের উপর ভিত্তি করে এবং অনলাইনে নেভিগেট করা কিছু লোককে প্রভাবিত করে। যখন ইন্টারনেট এবং প্রযুক্তির সাথে দক্ষ না হয় তখন তারা প্রায়ই প্রযুক্তির সাথে কাজ করার জন্য অবিশ্বস্ত হিসাবে দেখা হয়, এমনকি সবচেয়ে সহজ ফর্মগুলোতেও, এবং এটি প্রায়ই তাদের জন্য চাকরি খুঁজে পেতে অসুবিধা সৃষ্টি করে। এই সমস্যাটি তরুণ প্রজন্মের মধ্যে প্রায়ই ঘটে না কারণ তারা আসলে তাদের জীবনে প্রযুক্তি এবং ইন্টারনেট অন্তর্ভুক্ত করে উত্থাপিত হয়েছিল।
যদিও পুরানো প্রজন্ম এখনও ইন্টারনেট ব্যবহার করে; তবে ৭৫ বছর বয়সে তা কমে যায়। প্রবীণরা কেবল প্রযুক্তিগত প্রতিবন্ধকতার সাথে নিজেকে খুঁজে পান। প্রজন্ম তাদের কৈশোরের প্রযুক্তি মনোভাব দ্বারা প্রভাবিত হয়। বয়স্কদের বয়ঃসন্ধিকালে প্রযুক্তিগত মনোভাব ছিল না কারণ তারা একটি ভিন্ন সংস্কৃতির মধ্যে বেড়ে ওঠে যেখানে প্রযুক্তি একটি অংশ ছিল না। গিডেন (১৯৯১) উল্লেখ করেছেন যে "একটি প্রজন্ম একটি স্বতন্ত্র আত্মীয়তার দল বা শৃঙ্খলা যা ব্যক্তির জীবনকে সমষ্টিগত রূপান্তরের ক্রমের মধ্যে সেট করে"। বয়স্কদের জন্য আরেকটি বাধা হলো অনুপ্রেরণার অভাব। আইটি সেক্টরগুলো প্রযুক্তিগত ব্যবহারের উচ্চতর ব্যবহারকারীদের সম্পর্কে সচেতন এবং এটি তাদের সুবিধার জন্য ব্যবহার করে। তারা বিক্রয়ের জন্য এবং তাদের প্রযুক্তিগত ডিভাইসগুলোতে সহজে অ্যাক্সেসের জন্য তরুণ গোষ্ঠীগুলোকে লক্ষ্য করে। বয়স্কদের অসুবিধাগুলোর যত্নের অভাব রয়েছে, উদাহরণস্বরূপ দৃষ্টি প্রতিবন্ধকতা। প্রযুক্তিগত প্রজন্মের একটি বড় অংশ ফোনগুলো ইতিমধ্যে খুব ছোট এবং ক্রমাগত ছোট দেখানোর জন্য ডিজাইন করা হচ্ছে। পণ্য বিকাশকারীদের কাছ থেকে যত্নের এই অভাব বয়স্কদের কাছ থেকে জড়িত হওয়ার জন্য অনুপ্রেরণার অভাব তৈরি করে এবং কেবল জড়িত না হওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। অনুপ্রেরণার এই অভাব প্রযুক্তিগত দিক থেকে তরুণ ও প্রবীণদের মধ্যে একটি বড় ব্যবধান তৈরি করে।
=== শ্রেণী বিভাজন ===
.
প্রযুক্তির অ্যাক্সেসযোগ্যতার পার্থক্যের ক্ষেত্রে একটি শ্রেণি ব্যবস্থার ধারণাটি প্রাচীন বলে মনে হতে পারে তবে আজকের সমাজে এটি প্রাসঙ্গিক যা এটি আগে কখনও ছিল না। তথ্য প্রযুক্তির অ্যাক্সেসের সাথে সম্পর্কিত দারিদ্র্যের এই ধারণাটি 'লিঙ্গ, বয়স, সামাজিক শ্রেণি, সাংস্কৃতিক গোষ্ঠীকরণ, শিক্ষা, নিষ্পত্তিযোগ্য আয়, জাতিগততা এবং আদিবাসীত্ব এবং ভৌগলিক অবস্থানের মতো বিষয়গুলোর জন্য সামগ্রিক প্রভাব রয়েছে। (সবুজ, ২০০১)
সমাজে সবচেয়ে কম সচ্ছল মানুষের প্রবেশাধিকারের অন্যতম বাধা হলো নিষ্পত্তিযোগ্য আয়। এর অর্থ হলো একদল লোকের যত কম অর্থ রয়েছে তত বেশি তারা সংস্থাগুলো এবং যাদের আছে তাদের দ্বারা অবহেলিত হয়ে পড়ে। এর ফলে কম সচ্ছল মানুষ অবহেলিত হয় এবং তাই 'তথ্য, যোগাযোগ এবং আপ-মার্কেট পণ্যগুলোর লক্ষ্যবস্তু ভোক্তারা নয়। (সবুজ, ২০০১)
অতএব, ভোক্তা প্রযুক্তির সীমিত অ্যাক্সেসের সাথে তাদের চারপাশে গঠিত বক্তৃতার উপর তাদের খুব কম নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। কোনও বা সামান্য অ্যাক্সেস না থাকায় তারা উদাহরণস্বরূপ সাধারণভাবে রাজনীতির মতো বৃহত্তর ইস্যুতে কম জড়িত হতে পারে। ফলস্বরূপ, এটি অর্থনৈতিক বৈষম্যের ধারণাগুলোকে ফ্যাক্টর বা ইন্ধন দিতে পারে যা জনগণের বৃহত্তর গোষ্ঠীর ভুল উপস্থাপনার দিকে পরিচালিত করে; "ভোক্তা সমাজের বেশিরভাগ তথ্য তথ্য দরিদ্র হিসাবে শ্রেণিবদ্ধ করা লোকদের জীবন ও আকাঙ্ক্ষা সম্পর্কে অজ্ঞ। (সবুজ, ২০০১) সাব-অল্টার্ন শ্রেণিতে বিচ্ছিন্নতার মার্কসবাদী ধারণা অনুসরণ করে এখানে প্রবেশাধিকারের ক্ষেত্রে ন্যায়বিচারের কোনও দৃশ্যমান দাবি নেই। এটি একটি দুষ্ট স্থিতি-স্থিতাবস্থা তৈরি করে যেখানে উচ্চতর 'ধনী' শ্রেণি বা 'তথ্য ধনী' 'তথ্য দরিদ্র' যারা তাদের উপর নির্ধারিত এই ধারণাগুলো সম্পর্কে তাদের অজ্ঞতার কারণে পরিবর্তন বা অংশগ্রহণ করতে সক্ষম হয় না তাদের উপর উপস্থাপনা এবং বক্তৃতাগুলো প্রভাবিত করতে পারে।
=== পশ্চিমা বিভাজন ===
.
তথ্য প্রযুক্তির অ্যাক্সেসের ক্ষেত্রে পশ্চিমা আধিপত্যের ধারণাটি ঔপনিবেশিক যুগ থেকেই একটি ধ্রুবক উপস্থিতি ছিল। আধিপত্যের এই শিরা তথ্য যুগেও অব্যাহত রয়েছে এবং পশ্চিমা সমাজ এবং উন্নয়নশীল বিশ্বের মধ্যে বৈষম্য তৈরি করেছে। তথ্যে প্রবেশাধিকারের এই পার্থক্য তাই উন্নয়নশীল দেশগুলো এবং তাদের কাছে থাকা তথ্যের উপর সরাসরি প্রভাব ফেলে।
অতীতে, উন্নয়নশীল দেশগুলো অ্যাক্সেসের ক্ষেত্রে এই বৈষম্যগুলোর ক্ষেত্রে পরিবর্তন কার্যকর করার জন্য গুরুতর প্রচেষ্টা করেছে। তথ্যের প্রাথমিক যুগে, উন্নয়নশীল দেশগুলো ইউনেস্কোর (জাতিসংঘের শিক্ষা, বৈজ্ঞানিক ও সাংস্কৃতিক সংস্থা) কাছে 'তথ্য ও যোগাযোগ সংস্থানগুলোতে অ্যাক্সেস এবং বিতরণের ক্ষেত্রে বৃহত্তর ন্যায্যতা দাবি করার জন্য' আবেদন করেছিল। (সবুজ, ২০০১) এই দাবির ফলস্বরূপ তহবিল বন্ধ হয়ে যায় এবং দাবি বা ইস্যুটিকে 'রাজনীতিকীকরণ' করা হয়েছে এমন অভিযোগের কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যকে এই প্রোগ্রাম থেকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।
মৌলিক যোগাযোগ সেবায় প্রবেশাধিকার অর্জনের এই মৌলিক ক্ষমতা ছাড়া উন্নয়নশীল বিশ্বের মানুষ তাই তাদের চারপাশে গঠিত আলোচনায় অবদান রাখতে পারে না। এর অর্থ হলো প্রতিনিধিত্ব এবং তথ্যের ক্ষেত্রে পশ্চিমে যাদের অ্যাক্সেস রয়েছে তাদের দ্বারা সেট এবং নেতৃত্ব দেওয়া হয়; 'সারা বিশ্বের নিপীড়িত মানুষ তাদের তিক্ত মূল্যের এই ডিসকোর্স জানে... যা গুরুত্বপূর্ণ তা হলো সেল্ট (বা আফ্রিকান, বা পলিনেশিয়ান, ইত্যাদি) তার স্থান বরাদ্দ করা হয়েছে, অন্যত্র বর্ণিত একটি বক্তৃতায় নির্মিত হয়েছে। (সবুজ, ২০০১)
আমরা যদি বিশেষ করে শিক্ষা ব্যবস্থার মধ্যে তথ্যের প্রবেশাধিকার পরীক্ষা করি এবং যুক্তরাজ্য এবং মিশরের মতো একটি উন্নয়নশীল দেশের তুলনা করি, তাহলে আমরা প্রবেশাধিকার এবং পরবর্তীকালে প্রযুক্তিগত সাক্ষরতার পার্থক্যের ধারণাটিকে শক্তিশালী করতে পারি। ২০১২ সালে পরিচালিত একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে যে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের কম্পিউটারের অনুপাত সর্বনিম্ন ছিল ৬.৭৮ শিক্ষার্থী এবং একইভাবে কম্পিউটার প্রতি ৪.২২ শিক্ষার্থীর সাথে উচ্চ বিদ্যালয়ের তুলনায় একটি কম চিত্র পাওয়া গেছে। শিক্ষাব্যবস্থা অ্যাক্সেসের ধারণার জন্য সর্বোত্তম কারণ এটি কেবল কম্পিউটার অ্যাক্সেস করার ক্ষমতাই দেয় না বরং একজন ব্যক্তির সাক্ষরতা এবং প্রকৃতপক্ষে প্রযুক্তিটি ব্যবহার করার ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
আমরা যদি মিশরের দিকে তাকাই তবে এই পরিসংখ্যানগুলোর বিপরীতে, ইউনেস্কোর একটি প্রতিবেদনে দেখা গেছে যে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কম্পিউটারের অনুপাত ৪১: ১ এ বসেছিল এবং উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অনুপাত ২৫: ১ এ ছিল। তবে বৈষম্যটি আরও প্রকট হয়, যদি আমরা এই ফ্যাক্টরটি যুক্ত করি যে কম্পিউটারগুলো অবশ্যই ইন্টারনেটের সাথে সংযুক্ত থাকতে হবে, তবে চিত্রটি একটি প্রাথমিক শিক্ষার্থীর কাছে একটি কম্পিউটারে এবং একটি কম্পিউটারে সর্বাধিক ২০৮ মাধ্যমিক শিক্ষার্থীর কাছে পড়ে। এর অর্থ হলো শিক্ষাব্যবস্থার মধ্যে একটি চরম কর্মহীনতা রয়েছে যা কম্পিউটার অ্যাক্সেস করতে এবং তাদের প্রযুক্তিগত সাক্ষরতা বাড়ানোর অক্ষমতার কারণে মানুষকে তথ্য যুগের সক্রিয় সদস্য হতে বাধা দেয়।
এটি সামগ্রিকভাবে তাদের অর্থনৈতিক অবস্থার অংশে হতে পারে কারণ তাদের 'তথ্য প্রযুক্তিতে কম অ্যাক্সেস রয়েছে এবং তারা যে প্রযুক্তি কিনতে পারে ('নরম' ঋণ এবং ক্রমবর্ধমান ঋণ সহ) তা হলো পশ্চিমা প্রযুক্তি এবং এটি তৈরি করা মূল অভিজাতদের উপকার করে। (সবুজ, ২০০১) অতএব, আমাদের কাছে যা সস্তা এবং সহজেই পাওয়া যায় তার অর্থ এই নয় যে এটি উন্নয়নশীল বিশ্বের জন্য প্রযোজ্য। আরেকটি কারণ হতে পারে প্রযুক্তিগত শিল্পের আধিপত্যবাদী প্রকৃতির কারণে পশ্চিমাদের প্রযুক্তির বিকল্প নেই।
প্রবেশাধিকারের ক্ষেত্রে এই বৈষম্যের একটি প্রত্যক্ষ পরিণতি হতে পারে যে পশ্চিমা সমাজগুলো উন্নয়নশীল দেশগুলোর উপর প্রতিনিধিত্বের ধারণার উপর গভীর প্রভাব ফেলে। পাশ্চাত্যের আধিপত্য বজায় রাখার অন্যতম একটি উদাহরণ এটি। উত্তর-ঔপনিবেশিক শক্তির উন্নয়নশীল সমাজের চিত্রিত উপস্থাপনার উপর ভিত্তি করে তথ্য তৈরি করার ক্ষমতা রয়েছে, এর মধ্যে উন্নয়নশীল বিশ্বের 'নিষ্ক্রিয়', 'অসহায়', 'অভাবী' চিত্রের মতো প্রদত্ত ধারণাগুলো অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে, যা প্রদত্ত তথ্যের একটি পশ্চিমা ধারণার প্রতিনিধিত্ব করে। (সবুজ, ২০০১) এই বাইনারি মনোভাব সরাসরি উন্নয়নশীল বিশ্বের মধ্যে অকার্যকর প্রবেশাধিকারের কারণে তৈরি করা হয় যা পশ্চিমাদের তথ্য ছড়িয়ে দেওয়ার পদ্ধতিতে আধিপত্যবাদী হওয়ার অনুমতি দেয়।
=== ভাষা বিভাজন ===
.
ভাষা যে কোনও যোগাযোগমূলক প্রযুক্তির একটি অন্তর্নিহিত উপাদান এবং এই ক্ষেত্রের মধ্যে এর ব্যবহারগুলো উল্লিখিত প্রযুক্তি অ্যাক্সেসের দক্ষতার ক্ষেত্রে সুদূরপ্রসারী বিভাজনমূলক প্রভাব ফেলে। একটি চমকপ্রদ ঘটনা। যদিও কংক্রিট পরিসংখ্যানের সম্পূর্ণ অভাবের কারণে যাচাই করা খুব কঠিন, ইন্টারনেটে অর্ধেক ওয়েবসাইট ইংরেজিতে লেখা হয়। সাধারণত বড় পশ্চিমা সংস্থাগুলো ইংরেজি শিক্ষিত দেশগুলোকে লক্ষ্য করে কারণ এগুলো অন্যদের চেয়ে বেশি সমৃদ্ধ লোকদের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে, সম্ভবত তাদের শিক্ষার কুসংস্কারযুক্ত অ্যাকাউন্টের উপর ভিত্তি করে।
যদি আমরা উদাহরণস্বরূপ ভারতের মতো একটি উন্নয়নশীল দেশ গ্রহণ করি তবে মাত্র ৩০% লোককে ইংরেজিতে কথা বলার ক্ষমতা রয়েছে বলে মনে করা হয় এবং এটি অগত্যা সাবলীলভাবে বোঝায় না। এবং ইংরেজিভাষী ভারতীয়দের এই সংখ্যার মধ্যে মাত্র ১০% একটি নির্দিষ্ট পরিমাণে ভাষা পড়া এবং লেখার অনুশীলন করতে পারে। এমনকি ভারতের উত্তর-ঔপনিবেশিক যুগেও ইংরেজি সমাজে অভিজাত বর্ণের পছন্দের ভাষা হিসাবে রয়ে গেছে, সরকারী পরিষেবা এবং রেকর্ডগুলো প্রধানত ইংরেজি ভাষায় হ্রাস পেয়েছে।
কিন্তু প্রবেশাধিকারের জন্য এর অর্থ কী? ভাষাকে বর্জন প্রক্রিয়া হিসাবে ব্যবহার করার একটি উদাহরণ ইতিহাস জুড়ে অসংখ্য অ্যাকাউন্টে পাওয়া যায়; 'নারী নিরক্ষরতা বহু শতাব্দী ধরে নারীদের ক্ষমতা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের বাইরে রাখার উপায় হিসাবে ব্যবহৃত হয়েছিল, মধ্যযুগীয় গির্জা যেভাবে রাষ্ট্রের উপর গলা টিপে ধরা লাতিন ব্যবহার করেছিল এবং স্থানীয় ভাষাকে নিপীড়ন করার জন্য ব্যবহার করেছিল তার অনুরূপ। (সবুজ, ২০০১) এখানে আমরা দেখতে পাচ্ছি যে ভাষাটি লিঙ্গ, শ্রেণি এবং পশ্চিমা ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে বিভাজনের বিভিন্ন সামাজিক ইস্যুতে বিভাজনের হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহৃত হয়েছে। মূল কথা হলো, তথ্য যুগের প্রভাবশালী ভাষাগুলোতে নিরক্ষরতা বিশ্বজুড়ে বিশাল জনগোষ্ঠীর জন্য নিজের জন্য একটি বিশাল বাধা।
যদি কোনও ব্যক্তি খাপ খাইয়ে নিতে এবং শিখতে না পারে তবে তারা এই প্রযুক্তির সাথে জড়িত হতে ব্যর্থ হয়, এর একটি কারণ হলো পশ্চিমা প্রযুক্তির সহজলভ্যতা যা কোনও স্থানীয় ভাষা পূরণ করতে পারে না। এখানে হাইলাইট করা বিষয়গুলোর মধ্যে একটি হলো সাবঅল্টার্ন এবং সর্বজনীনভাবে স্বীকৃত নয় এমন ভাষাগুলোর কোনও আনুপাতিক উপস্থাপনা নেই। এবং বিদেশে অনেক লোক এমন কোনও ওয়েবসাইট খুঁজে পেতে এবং অ্যাক্সেস করতে ব্যর্থ হতে পারে যা তাদের মাতৃভাষায় কোনও পৃষ্ঠা তৈরি করেনি।
=== যুব সুরক্ষা ===
.
ইন্টারনেটে শিশু এবং কিশোর-কিশোরীরা অনেক বয়সের অনুপযুক্ত সামগ্রীর মুখোমুখি হয় (আপত্তিকর এবং ঝুঁকিপূর্ণ সামগ্রী দেখুন)। ২০১৪ সালে স্কটিশ সরকার "স্কটল্যান্ডে শিশু সুরক্ষার জন্য জাতীয় নির্দেশিকা" প্রকাশ করেছে সরকার বলেছে যে ইন্টারনেট বাচ্চাদের জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ এবং নতুন প্রযুক্তিগুলো কিছু ঝুঁকি নিয়ে আসে যেমন "অশ্লীল, হিংসাত্মক বা বিরক্তিকর উপাদানের এক্সপোজার"। তরুণদের যে কোন ক্ষতি থেকে রক্ষা করার জন্য ইন্টারনেটে যুব সুরক্ষা সম্পর্কিত অনেক সংস্থার সরঞ্জাম রয়েছে।
==== পিতামাতার নিয়ন্ত্রণ ====
পিতামাতার নিয়ন্ত্রণগুলো প্রযুক্তিগত বৈশিষ্ট্য। এই বৈশিষ্ট্যগুলো ডিজিটাল টেলিভিশন পরিষেবা, মোবাইল ডিভাইস, সফটওয়্যার, ভিডিও গেমস এবং কম্পিউটারে অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে। পিতামাতার নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে পিতামাতারা তাদের বাচ্চাদের প্রযুক্তি এবং ইন্টারনেট ব্যবহারের নির্দেশ দিতে পারেন। যুক্তরাজ্যে চারটি বৃহত্তম ইন্টারনেট সরবরাহকারী (ভার্জিন মিডিয়া, স্কাই, টকটক এবং বিটি) তাদের গ্রাহকদের বিনামূল্যে এই বৈশিষ্ট্যগুলো সরবরাহ করে, তারা তাদের ওয়েবসাইটগুলোতে বৈশিষ্ট্যটি কীভাবে শুরু করবেন সে সম্পর্কে নির্দেশাবলী সরবরাহ করে। বাচ্চাদের প্রযুক্তি ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করার জন্য চারটি ভিন্ন সরঞ্জাম রয়েছে। পিতামাতার নিয়ন্ত্রণগুলো পিতামাতাদের কখন এবং কতক্ষণ শিশু এবং কিশোর-কিশোরীদের ইন্টারনেট এবং এর ডেটাতে অ্যাক্সেস থাকবে তা সামঞ্জস্য করার অনুমতি দেয়। ফিল্টারিং এবং ব্লকিংয়ের মাধ্যমে পিতামাতারা নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটগুলোতে অ্যাক্সেস সীমাবদ্ধ করতে পারেন যেমন বয়স অনুপযুক্ত সামগ্রী (অসুবিধাগুলো দেখুন: আপত্তিকর এবং ঝুঁকিপূর্ণ সামগ্রী)। শিশুদের অত্যধিক ব্যক্তিগত তথ্য যেমন ই-মেইলের মাধ্যমে ভাগ করে নেওয়া থেকে বিরত রাখতে তারা বহির্গামী সামগ্রীও ব্লক করতে পারে। পর্যবেক্ষণ সরঞ্জামগুলো পিতামাতাকে তাদের বাচ্চাদের অনলাইন ক্রিয়াকলাপ সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন দেয় বা নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটগুলো দেখার সময় তাদের সতর্ক করে। পিতামাতার নিয়ন্ত্রণ বৈশিষ্ট্য সহ ভিডিও গেমস সিস্টেমগুলো অন্যদের মধ্যে প্লেস্টেশন ৪, এক্সবক্স ওয়ান, উই এবং নিন্টেন্ডো ৩ ডি এস রয়েছে। প্যারেন্টাল কন্ট্রোল ব্যবহার করে এমন অপারেটিং সিস্টেমগুলো হলো ম্যাক ওএস এক্স, অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম, উইন্ডোজ এবং আইওএস। অবশ্যই, পিতামাতার জন্য তাদের বাচ্চাদের ইন্টারনেট ব্যবহার নিরাপদ করার আরও উপায় রয়েছে। যেমন বাচ্চাদের বা বাচ্চা-ভিত্তিক ব্রাউজারগুলোর জন্য বিশেষ অনুসন্ধান ইঞ্জিন রয়েছে যা স্বয়ংক্রিয়ভাবে অনুপযুক্ত শব্দ, চিত্র বা ওয়েবসাইটগুলো ফিল্টার করে। এছাড়াও, অনেক ওয়েবসাইটের নিজস্ব নিয়ন্ত্রণ বৈশিষ্ট্য রয়েছে যেমন ইউটিউবে সীমাবদ্ধ মোড নামে একটি রয়েছে যা বয়স-বিধিনিষেধের মতো বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করে আপনি পরিবারের সদস্যদের দেখতে চান না এমন সামগ্রী লুকিয়ে রাখে (নীচে দেখুন)। নিয়ন্ত্রণ সরঞ্জাম রয়েছে এমন অন্যান্য ওয়েবসাইটগুলো হলো আইটিভি, স্কাই গো এবং বিবিসি আইপ্লেয়ার।
==== ন্যূনতম বয়সের প্রয়োজনীয়তা ====
ন্যূনতম বয়সের প্রয়োজনীয়তা মানে বিভিন্ন বয়সের গোষ্ঠীতে মিডিয়ার ডিক্লাসিফিকেশন। আজকের বেশিরভাগ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম প্ল্যাটফর্মগুলোতে বয়সের সীমাবদ্ধতা রয়েছে। সর্বাধিক সাধারণ সীমাটি ১৩ বছর। টুইটার, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম এবং স্ন্যাপচ্যাট এটি সেট করেছে। লিঙ্কডইনের সর্বনিম্ন বয়স ১৪, হোয়াটসঅ্যাপের ১৬ এবং টিন্ডারের ১৭। একমাত্র সামাজিক নেটওয়ার্ক যেখানে ব্যবহারকারীদের নিবন্ধনের জন্য প্রাপ্ত বয়সের হতে হবে তা হলো পাথ। তবে ইউটিউব এবং ফ্লিকারের মতো কয়েকটি প্ল্যাটফর্ম রয়েছে যেখানে আপনার বয়স ১৮ হতে হবে তবে আপনি যদি আপনার পিতামাতার অনুমতি নিয়ে থাকেন তবে ১৩ দিয়ে নিবন্ধন করতে পারেন। যদিও তাদের এই বয়স সীমা রয়েছে, কিছু প্ল্যাটফর্ম, যেমন স্ন্যাপচ্যাট এবং টুইটার, নিবন্ধনের সময় ব্যবহারকারীর বয়স জিজ্ঞাসা করবেন না। তবে খুব কম বয়সী কেউ যদি তাদের প্ল্যাটফর্মে সাইন আপ করে তবে সামাজিক নেটওয়ার্কগুলো কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানায়? সিবিবিসি নিউজরাউন্ডের জন্য একটি জরিপে দেখা গেছে যে "যুক্তরাজ্যে ১০ থেকে ১২ বছর বয়সী তিন-চতুর্থাংশেরও বেশি শিশুদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম অ্যাকাউন্ট রয়েছে, যদিও তারা বয়সসীমার নীচে রয়েছে"। ইয়াহুর মতো কিছু ওয়েবসাইট বাচ্চাদের নিবন্ধনের অনুমতি দেয় তবে ফ্লিকারের ফটো পৃষ্ঠাগুলোর মতো সহায়ক পরিষেবাগুলোতে অ্যাক্সেস দেয় না। টুইটার এবং ইনস্টাগ্রামের মতো অন্যরা ব্যবহারকারীদের জিজ্ঞাসা করে যে তারা যদি সচেতন হয় যে ১৩ বছরের কম বয়সী কোনও শিশু একটি অ্যাকাউন্ট পেয়েছে এবং তারপরে সেগুলো মুছে ফেলুন। এবং Ask.fm এবং ফেসবুক সহ আরও কিছুতে, যদি কোনও অপ্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি নেটওয়ার্কে যোগ দিতে চায় তবে প্রত্যাখ্যান বার্তাগুলো পপ আপ হয়। অবশ্যই, তরুণদের সবসময় একটি ভুল জন্ম তারিখ উল্লেখ করার সম্ভাবনা থাকে এবং এটি নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন। তবে শুধু তাই নয়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম প্ল্যাটফর্মগুলোতেও বয়সের সীমাবদ্ধতা রয়েছে বা থাকবে। ২০১৫ সালে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন যে তিনি যুক্তরাজ্য ভিত্তিক এবং বিদেশী উভয় ওয়েবসাইটই বয়স-সীমাবদ্ধতা নিয়ন্ত্রণ ছাড়াই সমস্ত হার্ডকোর পর্নোগ্রাফি ওয়েবসাইট নিষিদ্ধ করবেন।
==== সংগঠন/প্রতিষ্ঠান ====
.
* '''ইউকে কাউন্সিল ফর চাইল্ড ইন্টারনেট সেফটি (UKCCIS)''' আইন, একাডেমিয়া, শিল্প, দাতব্য সংস্থা এবং সরকারী খাতের ২০০ টিরও বেশি সংস্থা ইন্টারনেট এবং নতুন প্রযুক্তির ঝুঁকি থেকে শিশু ও তরুণদের রক্ষা করার জন্য একসাথে ইউকে কাউন্সিল ফর চাইল্ড ইন্টারনেট সেফটি প্রতিষ্ঠা করেছে। এটি ২০১০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। তাদের অন্যতম লক্ষ্য পর্নোগ্রাফিক ওয়েবসাইট এবং অনলাইন উপাদান অ্যাক্সেসের জন্য বয়স যাচাইকরণ নির্ধারণ করা। তদুপরি, তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম প্ল্যাটফর্মগুলোকে নিরাপদ করতে চায় এবং এটি মোকাবেলায় সচেতনভাবে শেখাতে চায়। কাউন্সিলটি "বন্ধুত্বপূর্ণ ওয়াইফাই" প্রতিষ্ঠা করেছে। যখনই আপনি লোগোটি জুড়ে আসেন এটি সর্বজনীন স্থানগুলো চিহ্নিত করে যেখানে পাবলিক ওয়াইফাই চেক করা হয়েছে এবং যেখানে পর্নোগ্রাফি বা শিশু নির্যাতনের ওয়েবসাইটগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে ব্লক করা হয়। কাউন্সিলের নির্বাহী বোর্ডের তিন সদস্য হলেন শিশু ও পরিবার প্রতিমন্ত্রী এডওয়ার্ড টিম্পসন এমপি, অপব্যবহার ও শোষণ প্রতিরোধ মন্ত্রী কারেন ব্র্যাডলি এমপি এবং ইন্টারনেট সুরক্ষা ও নিরাপত্তা বিষয়ক সংসদীয় আন্ডার সেক্রেটারি অফ স্টেট ব্যারনেস জোয়ানা শিল্ডস। তাদের প্রধান দায়িত্ব ইউকেসিসিআইএসের কাজের অগ্রাধিকার ক্ষেত্রগুলো চিহ্নিত করা।
* '''ইউকে সেফার ইন্টারনেট সেন্টার:''' ইউকে সেফার ইন্টারনেট সেন্টার তিনটি নেতৃস্থানীয় সংস্থা, সাউথ ওয়েস্ট গ্রিড ফর লার্নিং, ইন্টারনেট ওয়াচ ফাউন্ডেশন এবং চাইল্ডনেট ইন্টারন্যাশনালের একটি সম্মিলিত প্রকল্প এবং এটি অনিরাপদ নেটওয়ার্কের ৩১টি নিরাপদ ইন্টারনেট কেন্দ্রের মধ্যে একটি। এর পৃষ্ঠপোষক হলো ইউরোপীয় কমিশনের নিরাপদ ইন্টারনেট প্রোগ্রাম। এর তিনটি প্রধান কাজ হলো একটি সচেতনতা কেন্দ্র, একটি হেল্পলাইন এবং একটি হটলাইন। এর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং জনপ্রিয় প্রকল্পগুলোর মধ্যে একটি হল নিরাপদ ইন্টারনেট দিবস যা ৯ ই ফেব্রুয়ারী ২০১৬ এ অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
== মধ্যস্থতা অ্যাক্সেস ==
.
=== ওয়েব সার্চ ইঞ্জিন ===
.
পৃথিবীতে তাদের অনেক তথ্য এবং জ্ঞান রয়েছে। ইন্টারনেটে অনেকগুলো ওয়েবসাইট, ইউআরএল এবং প্রচুর পরিমাণে তথ্য রয়েছে। ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবে নির্দিষ্ট তথ্য সন্ধানের অন্যতম উত্পাদনশীল উপায় হলো ওয়েব অনুসন্ধান ইঞ্জিনের মাধ্যমে। ওয়েব সার্চ ইঞ্জিন অনেক ওয়েবপেজ থেকে নেওয়া তথ্য সংরক্ষণ এবং সংগঠিত করে কাজ করে। প্রথম সার্চ ইঞ্জিনটি তৈরি করেছিলেন অ্যালান এমটেজ ১৯৯০ সালে, এবং নামকরণ করা হয়েছিল আর্চি, সংরক্ষণাগারগুলোর জন্য সংক্ষিপ্ত। আর্চি ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবের আগে তৈরি করা হয়েছিল এবং এটি খুঁজে পেতে পারে এমন সমস্ত পাবলিক সার্ভারের ফাইল তালিকার একটি সূচী রেখেছিল যাতে ব্যবহারকারীরা সর্বজনীনভাবে উপলভ্য ফাইলগুলো সন্ধান করতে এবং সেগুলো ডাউনলোড করতে সক্ষম হয়।
তারপর থেকে, ওয়েব সার্চ ইঞ্জিনগুলো আজ ব্যবহৃত হয় তা বিকশিত হয়েছে। আজকের ওয়েব সার্চ ইঞ্জিনগুলো তাদের দেওয়া কীওয়ার্ডগুলোর জন্য ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবের একটি সূচী অনুসন্ধান করে কাজ করে এবং তারপরে কীওয়ার্ডগুলো একটি নির্দিষ্ট ক্রমে প্রদর্শন করে। ইনডেক্স বিশ্লেষণ তথ্য যা ওয়েব ক্রলার দ্বারা তৈরি করা হয়, যা সার্চ ইঞ্জিনে একটি অনুলিপি প্রেরণের জন্য পৃষ্ঠা থেকে পৃষ্ঠায় লিঙ্কগুলো অনুসরণ করে। কী শব্দগুলো অনুসন্ধান করতে ব্যবহৃত হয় এবং তারপরে প্রাসঙ্গিক তথ্য যা সন্ধান করা হচ্ছে তা সূচী থেকে টানা যেতে পারে। ফলাফলগুলো তখন র্যাংক করা হয় এবং প্রদর্শিত হয়। তথ্যগুলো র্যাংক করা যেতে পারে যেমন তথ্যটি কতটা আপডেট করা হয়েছে এবং ওয়েব পৃষ্ঠাটি কতগুলো ভিউ পেয়েছে বা ওয়েব পৃষ্ঠায় কোনও মূল শব্দ / বাক্যাংশ কতবার ব্যবহৃত হয়েছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে শত শত এবং বিশ্বে হাজার হাজার সার্চ ইঞ্জিন রয়েছে। ২০১৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ প্রধান সার্চ ইঞ্জিনগুলো হলো গুগল, বিং, ইয়াহু অনুসন্ধান, জিজ্ঞাসা করুন এবং এওএল অনুসন্ধান। প্রধান সাধারণ সার্চ ইঞ্জিনের পাশাপাশি সার্চের বিভিন্ন বিষয়ের জন্য নির্দিষ্ট সার্চ ইঞ্জিন রয়েছে। মেডিক্যাল কারণ থেকে শুরু করে চাকরি খোঁজা, সার্চ ইঞ্জিনগুলোকে টার্গেট করা যায়। বিং দ্বিতীয় সর্বাধিক জনপ্রিয় সাধারণ সার্চ ইঞ্জিন, তবে বিংয়ের অধীনে বিং হেলথ, বিং নিউজ এবং বিং ফিনান্স কয়েকটি নাম রয়েছে। ওয়েব অনুসন্ধান ইঞ্জিনের ফলাফলগুলো অনুসন্ধানকে বিস্তৃত বা শক্ত করার জন্য প্রাসঙ্গিক, নিরবচ্ছিন্ন এবং সহায়ক বিকল্পগুলো হওয়া উচিত।
==== গুগলের ইতিহাস ====
.
গুগল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং বিশ্বের এক নম্বর ওয়েব সার্চ ইঞ্জিন। গুগল এবং এর অধিভুক্ত ওয়েবসাইটগুলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সার্চ ইঞ্জিন বাজারের শেয়ারের ৬৭.৬% এবং বিশ্বব্যাপী ৬৬.৪% নিয়ে গঠিত।
গুগল ১৯৯৮ সালে ল্যারি পেজ এবং সের্গেই ব্রিন দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এবং আগস্ট ১৯, ২০০৪ সালে এটি একটি পাবলিক কোম্পানিতে পরিণত হয়। অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিনের মতো এটিও স্বয়ংক্রিয় সফটওয়্যার এজেন্ট ব্যবহার করে যা ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব ক্রল করে। এটি নির্দিষ্ট সাইটের লিঙ্কগুলো গণনা করে এবং তাদের ফলাফল বিশ্লেষণ করে। এরপরে এটি পেজর্যাংক নামে একটি অ্যালগরিদম ব্যবহার করে যা প্রতিটি ফলাফল পৃষ্ঠায় কতগুলো লিঙ্ক নিয়ে যায় তার উপর ভিত্তি করে অনুসন্ধানের ফলাফলগুলো অর্ডার করে। অক্সফোর্ড ইংরেজি অভিধান "গুগলকে" সংজ্ঞায়িত করে "ইন্টারনেটে (কেউ বা কিছু) সম্পর্কে তথ্য অনুসন্ধান করে, সাধারণত সার্চ ইঞ্জিন গুগল ব্যবহার করে।
ক্রিশ্চিয়ান ফুকসের 'সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম: এ ক্রিটিক্যাল ইন্ট্রোডাকশন' বইটি গুগলকে সার্চ ইঞ্জিন হিসেবে মূল্যায়ন করতে সময় নেয়। তাদের তথ্য সূত্র অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের ৪৫.৮% ২০১২ থেকে ২০১৩ সালের মধ্যে তিন মাসের মধ্যে গুগলে প্রবেশ করেছে। টিম ও'রিলি, ও'রিলি মিডিয়ার প্রতিষ্ঠাতা এবং ওপেন সোর্স এবং ওয়েব ২.০ শব্দগুলো জনপ্রিয় করার জন্য দায়ী ব্যক্তি, যুক্তি দিয়েছিলেন<blockquote>গুগল ওয়েব ২.০ এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের জন্য "স্ট্যান্ডার্ড বহনকারী" কারণ এটি প্রচলিত সফটওয়্যার পণ্য হিসাবে বিভিন্ন সংস্করণে বিক্রি হয় না, তবে "ক্রমাগত উন্নতি" এবং "প্রসঙ্গ-সংবেদনশীল" বিজ্ঞাপনের সাথে "পরিষেবা হিসাবে বিতরণ করা হয়"।</blockquote>গুগল এমন একটি সংস্থা হয়ে উঠেছে যা আজকের বিশ্বে জ্ঞানের অ্যাক্সেস গ্রহণ করেছে।
=== গুগলাইজেশন এবং তথ্যের শ্রেণিবিন্যাস ===
.
==== একটি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ স্থান হিসাবে সাইবারস্পেস ====
.
:: "সাইবারস্পেস প্রতিযোগিতার অংশটি সেই শর্তগুলোর স্পটলাইটিং জড়িত যার মাধ্যমে এই সংস্থাগুলো এটির সাথে আমাদের অভিজ্ঞতার মধ্যস্থতা করে"
==== পেজর্যাংক ====
.
সর্বাধিক প্রাসঙ্গিক ওয়েবপৃষ্ঠাগুলোকে শীর্ষে রাখার প্রয়াসে গুগল ফলাফল পৃষ্ঠাটি সংগঠিত করতে পেজর্যাংক নামে একটি সিস্টেম ব্যবহার করে। পেজর্যাংক স্বীকৃতি দেয় যে কোনও ওয়েবসাইট অন্যান্য পৃষ্ঠাগুলোতে কতবার লিঙ্ক করা হয়েছিল এবং সেগুলো কতবার লিঙ্ক করা হয়েছিল সে অনুসারে সেগুলো কতটা গুরুত্বপূর্ণ। এর মানে হল যে নতুন ওয়েবসাইটগুলো খুব কম মনোযোগ পেতে পারে এবং জনপ্রিয়তা তথ্যের নির্ভুলতার পরিবর্তে গুরুত্বপূর্ণ কারণ।
তবে এই সিস্টেমে কারচুপিতে বিশেষায়িত কিছু সংস্থা রয়েছে এবং বেসরকারী ব্যক্তি এবং সংস্থাগুলো তাদের ওয়েবসাইটকে আরও শীর্ষে স্থানান্তরিত করার জন্য এগুলো প্রদান করতে পারে। এটি অর্থের উপর ভিত্তি করে তথ্যের একটি শ্রেণিবিন্যাসের দিকে পরিচালিত করে: যারা এটি সামর্থ্য করতে পারে তারা আপনাকে তাদের পৃষ্ঠায় ক্লিক করার জন্য আরও প্রবণ হওয়ার জন্য অর্থ প্রদান করবে।
==== চয়েস আর্কিটেকচার ====
.
:: "আমাদের দেওয়া পছন্দগুলোর কাঠামো এবং ক্রম আমাদের নেওয়া সিদ্ধান্তগুলোকে গভীরভাবে প্রভাবিত করে"
রিচার্ড থ্যালার এবং ক্যাস সানস্টেইন "চয়েস আর্কিটেকচার" ধারণাটি বর্ণনা করেছেন। গুগল ফলাফল পৃষ্ঠায়, উদাহরণস্বরূপ, কেউ অন্যদের তুলনায় নির্দিষ্ট ফলাফলগুলোতে ক্লিক করার সম্ভাবনা বেশি, কেবল সেগুলো যেভাবে সংগঠিত এবং উপস্থাপিত হয় তার দ্বারা। যদিও দেখে মনে হচ্ছে আমরা কোন ফলাফলগুলোতে ক্লিক করি তার একটি মুক্ত পছন্দ আমাদের কাছে রয়েছে, গুগল ইচ্ছাকৃতভাবে পৃষ্ঠাটি এমনভাবে সংগঠিত করতে পারে যাতে আমরা যে ফলাফলটি চয়ন করতে চাই তা চয়ন করি। ওয়েবে আমরা প্রায় প্রতিটি পদক্ষেপ ট্র্যাক করে, গুগল আমাদের আগ্রহ এবং আমাদের রুক্ষ ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে ধারণা পেতে পারে এবং ফলস্বরূপ, তারা আমাদের পছন্দ অনুসারে ফলাফল পৃষ্ঠাটি সংগঠিত করতে পারে। এটি এমন কিছু সংস্থাকে উপকৃত করতে পারে যা আমাদের ব্যক্তিত্বের সাথে চিত্তাকর্ষক বলে মনে হয় এবং যারা আমাদের পর্দায় উপস্থিত হওয়ার জন্য প্রচুর অর্থ প্রদান করে। এটি দেখানো হয়েছে যে লোকেরা তাদের জন্য বেছে নেওয়া বিকল্পটির জন্য যাবে, যদিও তারা এই প্রক্রিয়াগুলো সম্পর্কে সচেতন নয়।
==== অবকাঠামোগত সাম্রাজ্যবাদ ====
.
বৈদ্যনাথন প্রযুক্তিগত নিয়তিবাদী দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করেছেন এই যুক্তিতে যে গুগল সমাজকে আকার দেয়। ওয়েবে বিভিন্ন সংস্কৃতির লোকেরা কেন একই রকম আগ্রহ দেখায় তা নিয়ে একটি বিতর্ক রয়েছে এবং যখন কেউ কেউ যুক্তি দেয় যে এটি কেবল ''কারণ আমরা সবাই'' একই রকম, বৈদ্যনাথন বলেছেন যে এটি ইন্টারনেটের কার্যকলাপ যা ব্যক্তিকে আকার দেয়।
:: "গুগলের ডিফল্ট এবং স্প্রেড করার উপায়গুলো অনুসন্ধান, সন্ধান, অন্বেষণ, ক্রয় এবং সেই প্রভাবটি উপস্থাপনের উপায়গুলো [...] চিন্তা ও কর্মের অভ্যাস।
ইন্টারনেটের বিশ্বায়নের সাথে, ভোক্তা সংস্কৃতির পশ্চিমা নিদর্শনগুলো বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন সংস্কৃতিতে ছড়িয়ে পড়তে পারে। উপরে বর্ণিত অ্যালগরিদমগুলো ব্যবহার করে, গুগল প্রত্যেকের পছন্দ, আগ্রহ এবং জ্ঞানকে প্রভাবিত করে, তারা যেখান থেকেই আসুক না কেন।
==== পাশ্চাত্য, ভোগবাদী মতাদর্শ ====
.
:: "যেখানে একসময় গুগল কৌতূহল মেটাতে তথ্য সরবরাহে বিশেষীকরণ করেছিল, এখন এটি ব্যবহারের সুবিধার্থে এটি করে"
এটি একটি পরিচিত সত্য যে গুগলের মুনাফা মূলত বিজ্ঞাপন থেকে আসে। উপরের অনুচ্ছেদগুলো চিত্রিত করে যে কীভাবে বিজ্ঞাপিত সংস্থাগুলো অনুসন্ধান ইঞ্জিনগুলোর মাধ্যমে প্রচুর শক্তি গ্রহণ করে। ডিবার্ট এবং রোহোজিনস্কি যুক্তি দিয়েছিলেন যে সাইবারস্পেসে সংস্থাগুলোর আরও বেশি ক্ষমতা রয়েছে। তারা এগুলোকে 'প্রাইভেট অথরিটি' হিসেবে উল্লেখ করে। এর মধ্যে বেসরকারী অভিনেতাদের অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে যারা ওয়েবে আমাদের অভিজ্ঞতার মধ্যস্থতা করার ক্ষমতা রাখে, পাশাপাশি যারা আড়িপাতার সুবিধাগুলোর মালিক এবং নজরদারি চালাতে পারে। সর্বোপরি, গুগল কেবল ডেটা সরবরাহ করে না, এটি আমাদের ডেটাতেও অ্যাক্সেস রাখে।
== অবৈধ প্রবেশাধিকার ==
.
পূর্বে প্রতিষ্ঠিত হিসাবে, তথ্যের অ্যাক্সেস একটি সফল গণতন্ত্রের অন্যতম মূল উপাদান। তার অভূতপূর্ব ডিগ্রী নামহীনতা, গতি এবং প্রচারের সাথে, ইন্টারনেট বিভিন্ন ধরণের ডিজিটাল তথ্য বিতরণের উত্থানের অনুমতি দেয় এবং চূড়ান্ত গণতান্ত্রিক ক্ষেত্র হিসাবে খ্যাতি প্রতিষ্ঠা করে। তবুও, সরকার এবং অনলাইনে অন্যান্য সংস্থাগুলো গোপনীয় বলে বিবেচিত নির্দিষ্ট ধরণের তথ্যের জন্য বিভিন্ন বাধা তৈরি করেছে, যেমনটি বিভিন্ন দেশে ইন্টারনেটে অ্যাক্সেস বিভাগে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে। ২০০০ সালে, জনসাধারণকে সরকারী সংস্থাগুলোর দ্বারা পরিচালিত তথ্য অ্যাক্সেস করার অনুমতি দেওয়ার জন্য তথ্য স্বাধীনতা আইন গৃহীত হয়েছিল, তবুও বেশ কয়েকটি ব্যতিক্রম বাদে এই অ্যাক্সেসও সীমাবদ্ধ। উপরন্তু, স্বেচ্ছাসেবী ভিত্তিতে না হলে বেসরকারী ব্যক্তি এবং সংস্থাগুলোর কাছে তথ্য চাওয়া যাবে না। এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই যে নির্দিষ্ট কিছু ব্যক্তি এবং গোষ্ঠী ইন্টারনেটের পূর্ণ সম্ভাবনার সদ্ব্যবহার করেছে এবং তাদের নিজেদের লাভের জন্য এবং জনসাধারণের ভালোর জন্য পূর্বে অ্যাক্সেসযোগ্য তথ্য অ্যাক্সেস এবং / অথবা বিতরণ করতে এটি ব্যবহার করা শুরু করেছে।
এই অধ্যায়ে তথ্যে অবৈধ প্রবেশাধিকারের প্রধান ক্ষেত্রগুলোর রূপরেখা দেওয়া হবে, প্রথমত সিস্টেমগুলোতে অ্যাক্সেসের উপায় হিসাবে হ্যাকিংয়ের ধারণা এবং বৈধতা এবং জনস্বার্থ উভয় ক্ষেত্রেই এর বিভিন্ন ব্যবহারগুলো স্পর্শ করবে। এরপরে এটি হুইসেল-ফুঁকানোর অনুশীলনে এগিয়ে যাবে এবং উইকিলিকসের মতো প্ল্যাটফর্মগুলো কীভাবে হুইসেলব্লোয়ারদের আরও বেনামে এবং কার্যকরভাবে কাজ করতে সক্ষম করেছে। পরিশেষে, এই অধ্যায়ে হ্যাকিংয়ের একটি বিশেষ দিক হিসেবে সাইবার সন্ত্রাসবাদের বিভিন্ন দিক এবং ইন্টারনেট কিভাবে নতুন ধরনের সন্ত্রাসবাদের জন্ম দেয় তা নিয়ে আলোচনা করা হবে। আমরা গোপন বা সীমাবদ্ধ তথ্য অ্যাক্সেস এবং প্রচারের কয়েকটি বিবিধ ঘটনা দিয়ে শেষ করব যা বিশেষ মিডিয়ার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল। পাশাপাশি অনলাইনে পরিচয় জালিয়াতির সমস্যা এবং পরিণতিগুলো সন্ধান করা।
=== হ্যাকিং ===
.
হ্যাকিং, যদিও সাধারণত "আইটি সিস্টেমে অননুমোদিত অ্যাক্সেসের চেষ্টা বা অর্জনের সাথে জড়িত ক্রিয়াকলাপ" হিসাবে উল্লেখ করা হয় খুব বিস্তৃত শব্দ যা বেশ কয়েকটি অন্তর্নিহিত ধারণা থাকতে পারে। যদিও প্রারম্ভিক হ্যাকাররা তাদের উপর আরোপিত নিয়মগুলো কৌতুকপূর্ণভাবে পুনরায় সংজ্ঞায়িত করার দিকে মনোনিবেশ করেছিল, হ্যাকিং কম্পিউটার প্রযুক্তির সাথে সবচেয়ে দৃঢ়ভাবে জড়িত। জনপ্রিয় সংস্কৃতিতে, একটি 'হ্যাক' বিরক্তিকর দৈনন্দিন সমস্যার সহজ সমাধানগুলোও উল্লেখ করতে পারে, যাকে 'লাইফ হ্যাকস' বলা হয়।
==== প্রারম্ভিক হ্যাকার সংস্কৃতি ====
.
হ্যাকার সংস্কৃতি প্রাথমিক ইন্টারনেট বিকাশের অন্যতম প্রধান প্রভাব হিসাবে দেখা যেতে পারে। প্রারম্ভিক হ্যাকার সংস্কৃতির আজকাল 'হ্যাকিং' হিসাবে বিবেচিত হওয়ার সাথে খুব কম সম্পর্ক ছিল, নিজেরাই এটিকে "কৌতুকপূর্ণ চতুরতার চেতনায় যা সম্ভব তার সীমা অন্বেষণ করা" হিসাবে সংজ্ঞায়িত করেছিল। কৌতুকপূর্ণ চতুরতা প্রদর্শন করে এমন ক্রিয়াকলাপগুলোর "হ্যাক মান" রয়েছে"। হ্যাকিং, এইভাবে, একজনের প্রযুক্তিগত দক্ষতার প্রদর্শন ছিল, এবং 'জিনিসগুলো ভিন্নভাবে করা' ছিল। প্রারম্ভিক হ্যাকার সংস্কৃতি অবাধে অ্যাক্সেসযোগ্য তথ্য এবং প্রযুক্তির উপর জোর দেয়, এ কারণেই তারা সাম্প্রতিক সময়ে ক্রমবর্ধমান নিরাপত্তা লঙ্ঘনের সাথে যুক্ত হয়েছে। প্রাথমিক হ্যাকিং মানগুলোর সঠিক ধারণাটি হ্যাকার এথিক বিভাগে পাওয়া যাবে। অধ্যায়ের এই বিশেষ বিভাগটি উপরে বর্ণিত বর্তমানে গৃহীত সংজ্ঞাটিতে আরও ফোকাস করবে।
==== অপরাধ হিসেবে হ্যাকিং ====
.
যদিও আইনগুলো বিভিন্ন দেশে পরিবর্তিত হয় (যেমন যুক্তরাজ্যের কম্পিউটার অপব্যবহার আইন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কম্পিউটার জালিয়াতি ও অপব্যবহার আইন), সিস্টেমের মালিকের অনুমতি ব্যতীত কম্পিউটার সিস্টেমে অ্যাক্সেস করা সাধারণত একটি ফৌজদারি অপরাধ হিসাবে বিবেচিত হয়, যা জরিমানা থেকে কারাদণ্ড পর্যন্ত হতে পারে। "কালো টুপি" এবং "সাদা টুপি" শব্দটি সাধারণত আইনী এবং খারাপ হ্যাকারদের মধ্যে পার্থক্য করতে ব্যবহৃত হয়। যে ক্ষেত্রে ব্যক্তির প্রেরণা অস্পষ্ট, "ধূসর টুপি" ব্যবহার করা হয়।
হ্যাকিংয়ের প্রকৃত প্রকৃতি হ্যাকারের মোটিফ এবং তার যে দক্ষতা রয়েছে তার সাথে পরিবর্তিত হয়। হ্যাকিং আক্রমণ সাধারণত নিম্নলিখিত বিভাগগুলোতে বিভক্ত করা যেতে পারে:
* সেবা প্রত্যাখ্যান
* অননুমোদিত প্রবেশ
* সিস্টেম অনুপ্রবেশ
* ওয়্যারলেস নেটওয়ার্কের অপব্যবহার
* ওয়েবসাইট বিকৃতি
হ্যাকিং কেবল প্রযুক্তিগত দক্ষতার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়: সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং হ্যাকিংয়ের একটি রূপ যেখানে হ্যাকাররা মানব মনোবিজ্ঞানের দুর্বলতার উপর নির্ভর করে বোধগম্য বা ব্যক্তিগত ডেটা অ্যাক্সেস করার চেষ্টা করে, যেমন সহায়ক হওয়ার ইচ্ছা পর্যাপ্ত অনুমোদন ছাড়াই তথ্য দেওয়ার দিকে পরিচালিত করে। এটি আসলে ব্যবসায়ের নিরাপত্তার জন্য অনেক বেশি বিপজ্জনক হতে পারে, কারণ সফটওয়্যারটি নিয়মিত অনুপ্রবেশ চেক করা হয়, তবে কর্মচারীরা সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং আক্রমণগুলো স্পট এবং মোকাবেলা করার জন্য স্পষ্টভাবে প্রশিক্ষিত নয়।
কিছু কম্পিউটার হ্যাকিং সিস্টেমের মালিকের কাছে সম্পূর্ণরূপে অদৃশ্য হতে পারে, বিপুল সংখ্যক ব্যবহারকারী জানেন না যে তাদের কম্পিউটার দূষিত সফটওয়্যার দ্বারা সংক্রামিত বা বাহ্যিকভাবে নিয়ন্ত্রিত।
==== হ্যাকিং কি জাস্টিফাই? ====
.
"গ্রহণযোগ্য" হ্যাকিংয়ের একটি প্রকৃত ফর্ম আছে যা কোনও সংস্থার প্রকৃত কর্মচারী হিসাবে হ্যাকারদের সাথে সম্পর্কিত নয়? হ্যাকাররা প্রায়ই তাদের অনুশীলনের গ্রহণযোগ্যতার ক্ষেত্রে নৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে তর্ক করে। একটি প্রধান যুক্তি হল যে তাদের প্রযুক্তিগত দক্ষতার মাধ্যমে, তারা সিস্টেমের মধ্যে দুর্বলতাগুলো সনাক্ত করতে পারে এবং অন্যান্য পক্ষের দ্বারা অপব্যবহারের আগে সিস্টেম অপারেটরকে অবহিত করতে পারে। তবুও অনেক হ্যাকার প্রকাশ্যে এটি করে, কেবল সিস্টেমের মালিকের পরিবর্তে সবার কাছে দুর্বলতা প্রকাশ করে প্রকৃত অপব্যবহারের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে।
আরেকটি যুক্তি হলো কোনও সিস্টেমে প্রবেশের সময় আসলে কোনও ক্ষতি না করা। হ্যাকাররা যুক্তি দেয় যে তারা কেবল তাদের দক্ষতা অনুশীলন করার জন্য বা ওয়েব এবং বিভিন্ন সিস্টেমগুলো অন্বেষণ করার জন্য সিস্টেমে প্রবেশ করে। তবুও, এই যুক্তিটি ধরে রাখে না যখন ফার্নেল এটিকে কেবল 'অন্বেষণ' করার জন্য কারও বাড়িতে প্রবেশের বাস্তব জীবনের পরিস্থিতির সাথে তুলনা করেন, যা গোপনীয়তা এবং গোপনীয়তার অধিকারের একটি বড় লঙ্ঘন।
পরিশেষে, কেউ তর্ক করতে পারে যে বড় ফাঁস, যেমন এইচবিগ্যারি ফেডারেল সিকিউরিটি ফার্ম এবং অ্যানোনিমাস দ্বারা অন্যান্য বিভিন্ন বড় সংস্থার যৌথ ষড়যন্ত্রের প্রকাশ[ কোনও দেশের নাগরিকদের বিরুদ্ধে গোপন অন্যায় কাজ বা সেন্সর করা ষড়যন্ত্র সম্পর্কে জনগণকে অবহিত করে গণতন্ত্রের অবদানকারী হিসাবে দেখা যেতে পারে। যেহেতু এটি খুব সত্য হতে পারে, এটি গ্রহণযোগ্যতার একটি ধূসর অঞ্চল হিসাবে রয়ে গেছে, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণভাবে যেহেতু বেশিরভাগ হ্যাকার আক্রমণগুলো সন্দেহের খুব পাতলা ভিত্তিতে ভিত্তি করে তৈরি করা হয়, তবে সরকারী আইন প্রয়োগকারীরা ইতিমধ্যে একটি নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে থাকতে পারে। এই ক্ষেত্রে, তদন্তাধীন কোনও বিষয়ের প্রাথমিক প্রকাশ এমনকি পুলিশের প্রচেষ্টাকে অন্তর্ঘাত করতে পারে এবং অপরাধীদের দোষী সাব্যস্ত না করার দিকে পরিচালিত করতে পারে।
হ্যাকিং একটি ফৌজদারি অপরাধ এটি একটি সুবিবেচ্য ধারণা, কারণ বেশিরভাগ হ্যাকিং কার্যকলাপ অন্য লোকেদের সিস্টেমে প্রবেশের সময় সম্মতির অভাবের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্থদের ক্ষতি করতে দেখা যায়। হ্যাকিং কখনও কখনও সামাজিকভাবে গৃহীত হয় যখন জনস্বার্থে বড় অন্যায় কাজগুলো প্রকাশ করতে ব্যবহৃত হয় (যাকে হুইসেল-ব্লোয়িংও বলা হয়), তবে হুইসেল-ব্লোয়ার সুরক্ষা বৈধ নয় যখন তথ্য অপরাধমূলক উপায়ে প্রাপ্ত হয় (যার মধ্যে হ্যাকিং অন্তর্ভুক্ত)।
==== পেশা হিসেবে হ্যাকিং ====
.
হ্যাকিং, যখন একটি উত্পাদনশীল উপায়ে ব্যবহার করা হয়, আসলে খুব উপকারী হতে পারে। বড় সংস্থাগুলো তাদের অনলাইন সুরক্ষা এয়ারটাইট কিনা তা নিশ্চিত করার জন্য পেশাদার হ্যাকারদের নিয়োগ করার জন্য পরিচিত। এই হ্যাকাররা কোনও সিস্টেমে হ্যাক করার চেষ্টা করবে এবং তাদের ক্লায়েন্টদের কাছে তাদের নেটওয়ার্কের কোনও সুরক্ষা দুর্বলতা হাইলাইট করার জন্য যে কোনও তথ্য চুরি করতে পারে। তারা সংবেদনশীল ক্ষেত্রগুলো সন্ধান করে যা দূষিত হ্যাকাররা ম্যানিপুলেট করতে পারে এবং এই ত্রুটিগুলো সংস্থাকে রিপোর্ট করে।
এরিকসনের মতে, হ্যাকার এমন একটি শব্দ যা এমন একজন ব্যক্তিকে বর্ণনা করে যার কোডটি লেখার ক্ষমতা রয়েছে তবে একই সাথে কেউ এটি শোষণ বা অপব্যবহার করতে সক্ষম। তাদের মধ্যে পার্থক্য তাদের কার্যকলাপের লক্ষ্য। গুরুতর হ্যাকিং স্ক্যান্ডাল সংঘটনের ফ্রিকোয়েন্সি সেই হ্যাকারদের দ্বারা সম্মানজনক, যারা হ্যাকার নীতিশাস্ত্রের প্রতি সত্য এবং সম্ভাব্য তথ্য চুরি বা জালিয়াতি প্রতিরোধে কাজ করে। হ্যাকার নীতিশাস্ত্র আইনের মধ্যে যারা কাজ করে এবং যারা কালো টুপি হ্যাকার হিসাবে কাজ করে তাদের মধ্যে পার্থক্য ফ্যাক্টর।
=== উইকিলিকস ও হুইসেল ব্লোয়িং ===
.
==== হুইসেল-ব্লোয়িং কী? ====
.
যুক্তরাজ্যে, হুইসেল-ব্লোয়িং এর অধীনে পড়ে জনস্বার্থ প্রকাশ আইন (১৯৯৮), যা "জনস্বার্থে তথ্য প্রকাশকারী ব্যক্তিদের সুরক্ষার জন্য একটি আইন; এইরূপ ব্যক্তিগণকে নির্যাতনের বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের অনুমতি দেওয়া; ", অর্থ হলো যে কর্মচারীরা তাদের সংস্থায় ব্যর্থতা এবং বেআইনী আচরণ প্রকাশ করে এবং যার এক্সপোজারটি জনস্বার্থে প্রকাশ করে, আইন দ্বারা সুরক্ষিত করা হচ্ছে এবং অন্যান্য সম্ভাব্য পরিণতিগুলোর মধ্যে তাদের এক্সপোজারের জন্য অপ্রয়োজনীয় করা যাবে না।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, এই ধরনের অনুশীলনগুলো হুইসেল-ব্লোয়ার প্রোটেকশন অ্যাক্ট (১৯৮৯) এর অধীনে পড়ে যা একই সুরক্ষার অনুমতি দেয়। তবে এটি শুধুমাত্র সরকারি কর্মচারীদের জন্য সংরক্ষিত এবং এতে বিভিন্ন বিধিনিষেধ রয়েছে। বেসরকারী কর্মচারীদের নির্দিষ্ট সুরক্ষা নেই, তবে একটি উপযুক্ত আইন খুঁজে বের করতে হবে যার অধীনে তাদের বিবৃতিগুলো সুরক্ষিত হতে পারে, যেমন মিথ্যা দাবি আইন, পেশাগত সুরক্ষা এবং স্বাস্থ্য আইন বা অন্যান্য।
হুইসেল-ব্লোয়িং মূলত সরকারী বা কর্পোরেট গোপনীয়তার প্রকাশের মাধ্যমে জনসাধারণের চোখে প্রবেশ করেছে যা মানবাধিকার লঙ্ঘন, যুদ্ধাপরাধ, গণ নজরদারি বা ব্যক্তির স্বাস্থ্য ও সুরক্ষাকে বিপন্ন করার মতো বড় অন্যায়ের সাথে জড়িত।
==== উইকিলিকস কী? ====
উইকিলিকস নিজেকে "যুদ্ধ, গুপ্তচরবৃত্তি এবং দুর্নীতির সাথে জড়িত সেন্সরযুক্ত বা অন্যথায় সীমাবদ্ধ সরকারী সামগ্রীর বৃহত ডেটাসেটের বিশ্লেষণ এবং প্রকাশে [বিশেষজ্ঞ]" হিসাবে সংজ্ঞায়িত করে। এটি একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম যা জনস্বার্থে বিবেচিত ফাঁস হওয়া গোপন বা সেন্সর করা নথি সংগ্রহ এবং বিতরণ করতে ইন্টারনেটের নাগাল, গতি এবং বেনামীর সুবিধা নেয়। উইকিলিকস ২০০৬ সালে জুলিয়েন অ্যাসাঞ্জ দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল,[ তখন থেকে ১০ মিলিয়নেরও বেশি নথি ফাঁস করে,[ বিখ্যাতভাবে ২০১০ সালে "সমান্তরাল হত্যা" ভিডিও এবং কেবলগেট বার্তা।
উইকিলিকসের গুরুত্ব স্পষ্ট হয় যখন ইন্টারনেটের মৌলিক ধারণাটি সম্পূর্ণ মত প্রকাশের স্বাধীনতার সাথে একটি আদর্শ পাবলিক স্ফিয়ার হিসাবে বিবেচনা করা হয়। ম্যাককারডি, ব্রেভিনি এবং হিন্টজ নোট করেছেন, যদি এই সম্পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া হত তবে উইকিলিকসের মতো একটি বিশেষ প্ল্যাটফর্মের প্রয়োজন হত না।
==== গণতন্ত্রের গুরুত্ব[ ====
<blockquote>হ্যাক্টিভিজম এবং মৌলিক স্বচ্ছতার নৈতিকতা, প্রযুক্তিগত দক্ষতা এবং সুযোগগুলো শোষণ করা এবং এর নামে উন্মুক্ত প্রকাশনা এবং সহযোগিতামূলক কাজের "উইকি" ধারণাটি বহন করে, উইকিলিকস ইন্ডিমিডিয়ার অনুরূপ একটি বিকল্প কাউন্টারকালচারাল এবং ডিজিটাল নাগরিক মিডিয়া মডেল উভয়ের সাথেই সংযোগ স্থাপন করে, যা সহস্রাব্দের শুরুতে সহজ অংশগ্রহণমূলক সামগ্রী উত্পাদন (যা পরে "ওয়েব ২.০" নামে পরিচিত হয়েছিল) চালু করেছিল। </blockquote>২০১০ সাল ছিল অনেকের কাছেই সেই বছর যখন উইকিলিকস নিজেকে বিশ্বব্যাপী প্রচলিত ক্ষমতা কাঠামোকে চ্যালেঞ্জ করার গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছিল, যার দুটি বড় তথ্য প্রকাশিত হয়েছিল। ফাঁস হওয়া ভিডিও "কোল্যাটারাল মার্ডার" একটি যুদ্ধ হেলিকপ্টারের দৃষ্টিকোণ থেকে ইরাক যুদ্ধের আসল, সেন্সরবিহীন ফুটেজ চিত্রিত করে এবং ইরাক যুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ এবং অপ্রয়োজনীয় হত্যার সুযোগ প্রকাশ করে। সেই বছরের দ্বিতীয় প্রকাশটি এখন "কেবলগেট" নামে অভিহিত হয় এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য দেশের মধ্যে শ্রেণিবদ্ধ কূটনৈতিক তারের ফাঁস নিয়ে গঠিত,[ পর্যন্ত "আমেরিকান ইতিহাসে শ্রেণিবদ্ধ নথির বৃহত্তম ফাঁস" হিসাবে বিবেচিত। পরবর্তী মিডিয়ার মনোযোগ এবং মার্কিন সরকার উইকিলিকসের সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ অবদানকারীকে "রাষ্ট্রের শত্রু" হিসাবে ঘোষণা করতে এগিয়ে যাওয়ার বিষয়টি সরকারের অন্যায় কাজ উন্মোচনে প্ল্যাটফর্মের আন্তর্জাতিক গুরুত্বের সূচক হিসাবে কাজ করেছিল।
ম্যানুয়েল ক্যাসেলস "নেটওয়ার্ক সোসাইটি" শব্দটি তৈরি করেছিলেন, যা অন্যদের মধ্যে অনুভূমিক নেটওয়ার্ক এবং ইন্টারেক্টিভ যোগাযোগ দ্বারা চিহ্নিত করা হয়। এটি এর সাথে নতুন চ্যালেঞ্জও নিয়ে এসেছে, যেমন বিদ্যমান শক্তি কাঠামোর পরিবর্তন, যা প্রাথমিকভাবে তথ্যের অসীম এবং তাত্ক্ষণিক পুনরাবৃত্তিযোগ্যতার মাধ্যমে সহায়তা করে। অতএব, অন্যরা নিয়ন্ত্রণ করতে চায় এমন তথ্য ফাঁস, প্রকাশ এবং প্রচারকে সমর্থন করে এমন প্ল্যাটফর্মগুলো প্রচলিত ক্ষমতা কাঠামোকে চ্যালেঞ্জ করার প্রভাবশালী উপায় হিসাবে বিবেচিত হয়, যা কর্তৃত্ববাদী সরকার দ্বারা শাসিত নির্দিষ্ট দেশগুলোতে বিস্তৃত সেন্সরশিপ বিবেচনা করার সময় সবচেয়ে স্পষ্ট হয়।
এর প্রতিফলন হিসাবে, কিছু শিক্ষাবিদ উল্লেখ করেছেন যে বর্তমান আইন, যেমন যুক্তরাজ্যের তথ্য স্বাধীনতা আইন, ইন্টারনেটের যুগ যে পরিবর্তনগুলো নিয়ে এসেছে তা প্রতিফলিত করার জন্য সংশোধন ও সংস্কার করা দরকার। তা সত্ত্বেও, বানিসার এবং ফানুচি যেমন নোট করেছেন, যেহেতু কোনও কেলেঙ্কারি সেন্সর করা তথ্যের প্রতি জনসাধারণের মূল্যবোধের পরিবর্তন না ঘটায় ততক্ষণ সংস্কারের জন্য প্রকাশ্যে কোনও আহ্বান জানানো হয় না। এমন একটি কেলেঙ্কারি যা কেবল হুইসেল-ফুঁকানো কার্যকলাপের মাধ্যমেই উন্মোচিত হতে পারে।
==== হুইসেল বাজানোর অভ্যাসের পরিবর্তন ====
.
ইন্টারনেট এবং উইকিলিকসের মতো প্ল্যাটফর্মের উত্থানের সাথে সাথে হুইসেল-ফুঁকানোর অনুশীলনটি প্রকৃতিতে উল্লেখযোগ্যভাবে পরিবর্তিত হয়েছে। পূর্ববর্তী বিখ্যাত মামলাগুলোর সাথে তুলনা করে, যেমন পেন্টাগন পেপারস ১৯৭১ সালে,[ নতুন প্রযুক্তি প্রক্রিয়াটির প্রতিটি ক্ষেত্রে তথ্য ফাঁস করেছে। এমনকি ৯/১১-এর পর থেকে নিম্ন নিরাপত্তার কর্মীদের জন্যও তথ্যে প্রবেশাধিকার সহজ হয়েছে। ডিজিটাল প্রযুক্তি ডেটাকে আরও বহনযোগ্য, প্রতিলিপি এবং তাত্ক্ষণিক করে তুলেছে। বিখ্যাত পেন্টাগন পেপারস, যা সেই সময়ে ৭০০০ এরও বেশি মুদ্রিত পৃষ্ঠা অন্তর্ভুক্ত ছিল, এখন সহজেই একটি ইমেল সংযুক্তিতে ফিট করবে। ডিজিটাল অনুলিপি কয়েক মিনিটের মধ্যে করা যেতে পারে, ফটোকপি শ্রমের দিনগুলোর বিপরীতে এবং তাই সনাক্তকরণের উচ্চ ঝুঁকি। একইভাবে, এই ডেটা বিতরণ ইমেলের মাধ্যমে তাত্ক্ষণিকভাবে করা যেতে পারে এবং অসীম সংখ্যক প্রাপকের কাছে প্রেরণ করা যেতে পারে।
তবুও, এখন ফাঁস হতে পারে এমন উচ্চ পরিমাণে ডেটা তাদের নিজস্ব সমস্যা নিয়ে এসেছে। আজকাল ফাঁস হওয়া ডেটা সাধারণত খুব বড় এবং কাঁচা, যা প্রাসঙ্গিক তথ্য বিশ্লেষণ এবং বাছাই করার জন্য পরিশীলিত সাংবাদিকতার অনুশীলনের আহ্বান জানায়। ইন্টারনেটে তথ্য বিতরণ করার অর্থ হলো একবার আপলোড হয়ে গেলে, ডেটা হুইসেল-ব্লোয়ারের নিয়ন্ত্রণের সাথে সম্পূর্ণরূপে আউট হয় এবং সরানো যায় না।
==== উইকিলিকসের সাথে সমস্যা ====
.
অবশ্যই, গোপন, অ্যাক্সেসযোগ্য তথ্য ফাঁস করা সমস্যার জন্য উল্লেখযোগ্য সম্ভাবনা বহন করে, অন্তত জাতীয় সুরক্ষার মতো নয়, যেমন কৌশলগত সরকারী কাগজপত্র প্রকাশের সাথে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো সরকারগুলো উইকিলিকসের প্রধান সমর্থকদের "রাষ্ট্রের শত্রু" হিসাবে ঘোষণা করেছে,[ এবং এটি অনুমান করা হয় যে বেশিরভাগ উইকিলিকস অবদানকারীরা রাষ্ট্রীয় নজরদারির অধীনে থাকতে পারে। কেবলগেট ফাঁসের জন্য দায়ী ব্যক্তি ব্র্যাডলি ম্যানিংয়ের মতো প্রধান হুইসেল-ব্লোয়ারদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, অভিযুক্ত করা হয়েছে এবং অপ্রত্যাশিতভাবে কঠোর আটক চিকিত্সার সাথে চিকিত্সা করা হয়েছে, যা দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক সমালোচনার মধ্যে রয়েছে। জনসাধারণের লজ্জা এবং বিচ্ছিন্নতার হুইসেল-ব্লোয়ারদের প্রতি এই কঠোর সরকারী প্রতিক্রিয়া সম্ভবত ভবিষ্যতের ভিন্নমতাবলম্বীদের তাদের উদ্বেগ প্রচার থেকে বিরত রাখবে বলে মনে করা হচ্ছে, তবে এটি মত প্রকাশের স্বাধীনতার উদ্বেগও তৈরি করে।
অন্যান্য বিষয়গুলোর মধ্যে হুইসেল-ব্লোয়ারদের অ্যাক্সেসের পদ্ধতি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, যা কমপক্ষে কিছু ক্ষেত্রে অবৈধ বলে মনে করা হয়। উদাহরণস্বরূপ, জনস্বার্থ প্রকাশ আইন (১৯৯৮) এমন ব্যক্তিদের সুরক্ষা দেয় না যারা অবৈধ উপায়ে অর্জিত তথ্য ফাঁস করে। এমনকি যদি হ্যাক্টিভিজমের মতো অপরাধমূলক কাজগুলো সরল বিশ্বাসে পরিচালিত হতে পারে, উদা: অপরাধ প্রকাশ করার জন্য, প্রকৃত অনুপ্রবেশ এবং এক্সপোজার আসলে সত্যিকারের পুলিশ তদন্তে হস্তক্ষেপ করতে পারে এবং এর অগ্রগতিতে বাধা দিতে পারে। অতএব, হুইসেল-ব্লোয়ারদের তাদের প্রকাশের সম্ভাব্য শক্তি বিবেচনা করে কিছুটা সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
এটি যুক্তিযুক্ত হতে পারে যে মিডিয়ার মনোযোগ উইকিলিকসের কাজের জন্য একটি সম্ভাব্য ইস্যু হতে পারে, প্রকৃত প্রকাশিত তথ্যের পরিবর্তে ব্যক্তিত্বের প্রতি মিডিয়ার অসামঞ্জস্যপূর্ণ মনোযোগের পরিপ্রেক্ষিতে। ২০১০ এর পর জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ সাধারণ সুবিধার্থী হিসাবে তার ভূমিকা সত্ত্বেও উল্লেখযোগ্য সেলিব্রিটি স্ট্যাটাস অর্জন করেছেন। এটি সেই ব্যক্তিত্বদের দিকে জনসাধারণের দৃষ্টি সরিয়ে দিয়ে অন্যায়ের আসল, উন্মোচিত তথ্য থেকে বিভ্রান্ত করতে পারে।
সবশেষে, উইকিলিকস আসলে কী গণতান্ত্রিক মূল্য বহন করে তা এখনও স্পষ্ট নয়। সরকার এবং কর্পোরেট অপকর্মের বড় ফাঁস সত্ত্বেও, অপরাধীদের জবাবদিহি করার জন্য আইনী পর্যায়ে কোনও বাস্তব পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। বরং এসব উপকরণের প্রকাশকদের বিচার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। উইকিলিকস নিজেই তাই গণতন্ত্রকে প্রভাবিত করার ক্ষেত্রে কেবল সীমিত ক্ষমতা বহন করে এবং জনসাধারণের প্রতিবাদ ও প্রতিবাদের প্রয়োজন।
=== নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ===
.
অ্যানোনিমাস হচ্ছে একটি ঢিলেঢালাভাবে সংগঠিত "হ্যাক্টিভিস্ট" সমষ্টি, যা বাকস্বাধীনতা, তথ্যে অবাধ প্রবেশাধিকার এবং সরকার এবং কর্পোরেট কার্যক্রমে স্বচ্ছতা প্রচারের জন্য তৈরি করা হয়েছে। সমষ্টির স্লোগান "উই আর লিজিওন" গ্রুপের সংখ্যা এবং এর সদস্যদের পরিচয় গোপন রাখা উভয়কেই বোঝায়। অ্যানোনিমাস সারা বিশ্ব জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা সামাজিক নেটওয়ার্কিং সাইট, ফোরাম এবং ব্লগগুলোর মাধ্যমে সংযোগ স্থাপনকারী ব্যক্তিদের বিভিন্ন গ্রুপ নিয়ে গঠিত। যদিও গ্রুপটি প্রাথমিকভাবে অনলাইন কৌতুকের জন্য পরিচিত ছিল, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এটি আরও গুরুতর এবং রাজনৈতিক হয়ে উঠেছে।
=== ইতিহাস ===
.
অ্যানোনিমাসের দলটি একটি ফোরাম থেকে তাদের কর্মকাণ্ড শুরু করেছিল এবং শুরু থেকেই সত্যিকারের দর্শন ছিল বাস্তব জগতে এবং ইন্টারনেটে বাক স্বাধীনতা; এবং এমনকি যদি তাদের কর্মের একটি স্পষ্ট দর্শনের বিবৃতি না থাকে তবে অ্যানোনিমাস সাধারণত শক্তিশালী রাজনৈতিক সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে দাঁড়ায় যা ওয়েবের কর্ম এবং চিন্তার স্বাধীনতা বন্ধ করার চেষ্টা করে; আর ৪চ্যানের পর থেকে এগুলোই সবচেয়ে বিখ্যাত আক্রমণ যা এই বছরগুলোতে অ্যানোনিমাস গ্রুপ করেছে:
==== ৪চান ====
.
একটি চিত্র-ভিত্তিক বুলেটিন বোর্ড ওয়েবসাইট, ১ অক্টোবর প্রকাশ্যে চালু করা হয়েছিল। সাইটটি ২ চ্যানেল দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়েছিল, একটি বিশাল ইন্টারনেট ফোরাম, আপাতদৃষ্টিতে এলোমেলো সামগ্রী সহ, যা বিশেষত জাপানে জনপ্রিয়; ৪chan লোকেদের পাশাপাশি বেনামে পোস্ট করার অনুমতি দেয়। ২ চ্যানেলের বিপরীতে, ৪ চ্যানের বিশাল সংখ্যাগরিষ্ঠতা মূলত ইংরেজিতে এবং বিভিন্ন ইন্টারনেট মেমসের উপর ভিত্তি করে অপবাদ। যে কোনও পোস্টার নাম ক্ষেত্রে পাঠ্য পোস্ট করে না স্বয়ংক্রিয়ভাবে "বেনামী" হিসাবে জমা হয়; এবং এই বৈশিষ্ট্যগুলোর জন্য ধন্যবাদ ফোরামের গ্রুপটি অ্যানোনিমাসের নামের পিছনে কর্মের ধারণা নিয়ে এসেছিল, যেখানে কারও নাম এবং পরিচয় ছিল না, তবে একটি সৈন্যদলের মতো তারা সবাই একই অবস্থানে এবং গুরুত্বপূর্ণ ছিল, তাদের ধারণার জন্য এবং তাদের শত্রুর বিরুদ্ধে একসাথে লড়াই করেছিল।
==== প্রকল্প চ্যানোলজি ====
.
১৪ জানুয়ারি চার্চ অব সায়েন্টোলজির একটি ভিডিও ইউটিউবে ফাঁস হয়। এটি একটি প্রচারমূলক ভিডিও ছিল যেখানে টম ক্রুজকে উন্মত্তভাবে হাসতে দেখা গেছে; 'কপিরাইট লঙ্ঘনের' কারণে ইউটিউবকে ভিডিওটি সরিয়ে ফেলার চেষ্টা করেছিল কাল্ট। এর প্রতিক্রিয়ায় গত ২১ জানুয়ারি ইউটিউবে 'মেসেজ টু সায়েন্টোলজি' শিরোনামে একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়। এভাবেই শুরু হয় প্রজেক্ট চ্যানোলজি। সায়েন্টোলজি কেন একটি বিপজ্জনক সংগঠন এবং ইউটিউব থেকে টম ক্রুজের ভিডিও সরানোর চেষ্টা কীভাবে বাক স্বাধীনতার লঙ্ঘন ছিল তা প্রকাশ করা হয়েছে। ২৮ জানুয়ারি তারিখে 'কল টু অ্যাকশন' ভিডিওটি ইউটিউবে পোস্ট করা হয়, যা অ্যানোনিমাসকেও কৃতিত্ব দেওয়া হয়, যেখানে ১০ ফেব্রুয়ারি বিশ্বজুড়ে চার্চ অফ সায়েন্টোলজি কেন্দ্রের বাইরে বিক্ষোভের ডাক দেওয়া হয়। জানুয়ারির কোনো এক সময়ে কাল্টটির ওয়েবসাইটে ডিডিওএস আক্রমণ চালানো হয়। সে বছর সায়েন্টোলজির বিরুদ্ধে বিভিন্ন অ্যানোনিমাস প্রতিবাদের সময়, অনেক প্রতিবাদকারী জনপ্রিয় চলচ্চিত্র ভি ফর ভেন্ডেটার চেতনায় গাই ফকসের মুখোশ পরেছিলেন এবং কাল্ট থেকে তাদের পরিচয় রক্ষা করার জন্য, যা ভিন্নমতাবলম্বীদের আক্রমণ করার জন্য পরিচিত সায়েন্টোলজি যাকে বলে 'দমনকারী ব্যক্তি'।
==== প্রকল্প স্কাইনেট ====
.
২০০৯ সালের জুন মাসে ইরানে রাষ্ট্রপতি মাহমুদ আহমাদিনেজাদ নির্বাচিত হন, যা সারা দেশে বিক্ষোভের সূত্রপাত করে। প্রতিক্রিয়া হিসাবে, অ্যানোনিমাস ইরান গঠিত হয়েছিল, অ্যানোনিমাস এবং পাইরেট বে এর মধ্যে একটি অনলাইন প্রকল্প। অ্যনোনিমাস ইরান বিশ্বের কাছে একটি ফোরাম প্রস্তাব করেছে যা দাঙ্গা সম্পর্কে অনলাইন সংবাদের উপর ইরান সরকারের দমনপীড়নের মধ্যে নিরাপদ রাখা হয়েছে। প্রজেক্ট স্কাইনেট একই মাসে অ্যানোনিমাস দ্বারা চালু করা হয়েছিল, বিশ্বব্যাপী ইন্টারনেট সেন্সরশিপের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য।
==== অপারেশন পেব্যাক এবং উইকিলিকস ====
.২০১০ সালের ফেব্রুয়ারিতে অস্ট্রেলিয়ান সরকার এমন আইন পাস করার প্রক্রিয়াধীন ছিল যা মহিলা বীর্যপাত এবং ছোট স্তনযুক্ত মহিলাদের বৈশিষ্ট্যযুক্ত পর্নোগ্রাফিকে অবৈধ করে তুলবে। ছোট স্তনযুক্ত একজন পর্ন তারকা অবশ্যই অপ্রাপ্তবয়স্ক হতে হবে এই গতিতে বোঝানো হয়েছিল। প্রতিক্রিয়া হিসাবে, ১০ তারিখে, অ্যানোনিমাস অপারেশন টাইটস্টর্মে জড়িত ছিল, ডিডিওএস আক্রমণ ব্যবহার করে অস্ট্রেলিয়ান সরকারের বিভিন্ন ওয়েবসাইট নামিয়ে আনে।
জবাবে, এমপিএএ এবং আরআইএএ, অপারেশন পেব্যাক শুরু করে, পাইরেট বে এবং ফাইল ভাগ করে নেওয়ার সাথে সম্পর্কিত অন্যান্য ওয়েবসাইটগুলোতে ডিডিওএস আক্রমণ চালানোর জন্য ভারতীয় সফটওয়্যার ফার্ম এআইপ্লেক্সকে ভাড়া করে। অ্যানোনিমাস তাদের নিজস্ব ডিডিওএস আক্রমণ চালিয়ে যায়, তিনটি সংস্থার সাথে যুক্ত ওয়েবসাইটগুলোকে লক্ষ্য করে, এমপিএএ, আরআইএএ এবং এআইপ্লেক্স। ডিসেম্বরেও অপারেশন পেব্যাক অব্যাহত ছিল, তবে এবার লক্ষ্যবস্তু ছিল মাস্টারকার্ড, ভিসা PayPal, ব্যাংক অফ আমেরিকা এবং অ্যামাজন। উইকিলিকস ওয়েবসাইটের জন্য দাতব্য অনুদান ব্লক করার জন্য এই কর্পোরেশনগুলোকে টার্গেট করা হয়েছিল। উইকিলিকস এমন একটি ওয়েবসাইট যেখানে হুইসেল ব্লোয়াররা বিশ্বজুড়ে সরকারের দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকাণ্ড সম্পর্কে অভ্যন্তরীণ তথ্য পোস্ট করে। ৮ তারিখের মধ্যে মাস্টারকার্ড ও ভিসার ওয়েবসাইট বন্ধ করে দেয়া হয়, আবারো ডিডিওএস আক্রমণের মাধ্যমে।
==== আরব বসন্ত ও অকুপাই ওয়াল স্ট্রিট ====
২ জানুয়ারী থেকে তিউনিশিয়ার স্টক এক্সচেঞ্জ এবং তিউনিশিয়ার শিল্প মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট বন্ধ করে দেয়া হয় বেশী ডিডস আক্রমণের মাধ্যমে। এটি ছিল তিউনিশিয়ার সরকারের সেন্সরশিপের প্রতিক্রিয়া। এরপরই পরবর্তী টার্গেটে পরিণত হয় মিসর সরকার। মিসরের প্রেসিডেন্ট হোসনি মোবারককে ক্ষমতা থেকে অপসারণের অভিপ্রায়ে এই প্রচেষ্টা শুরু হয়। যখন সরকার তাদের নাগরিকদের টুইটারে প্রবেশ নিষিদ্ধ করে, তখন অ্যানোনিমাস মিশরীয় সরকারের ওয়েবসাইটগুলো ডিডস আক্রমণের মাধ্যমে বন্ধ করে দেয়। একই বছরের ২৩ শে আগস্ট, অ্যানোনিমাস এর সমর্থন প্রকাশ করেছিল ওয়াল স্ট্রিট দখল করুন; হাজার হাজার মানুষ এই বিক্ষোভে অংশ নিয়েছে, যা এখনও অব্যাহত রয়েছে। অ্যানোনিমাস এবং অ্যানোনিমাস সমর্থকরা অ্যানোনিমাস সম্পর্কিত ব্লগে এই আন্দোলনের সংবাদ প্রদান করছে। পুরো সেপ্টেম্বর জুড়ে এবং অক্টোবর মাসে, বিশ্বের অনেক শহর অকুপাই আন্দোলনে যোগ দিয়েছে, যেমন শিকাগো, টরন্টো, লন্ডন, টোকিও এবং অন্যান্য স্থান; "হ্যাক্টিভিজম" এখন একটি প্রধান ঘটনা, এবং অ্যানোনিমাস একমাত্র 'হ্যাক্টিভিস্ট' গ্রুপ থেকে অনেক দূরে। নেটওয়ার্ক, সার্ভার এবং ডাটাবেস যা লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হতে পারে সেগুলো অবশ্যই সুরক্ষার জন্য নিরীক্ষণ করতে হবে। DDoS আক্রমণ থেকে হার্ডেন নেটওয়ার্কগুলো, সম্ভব হলে ভার্চুয়ালাইজেশন এবং প্রক্সি সার্ভারগুলো ব্যবহার করুন এবং নিশ্চিত করুন যে পাসওয়ার্ড এবং হ্যাশগুলো ক্র্যাক করা কঠিন। এনক্রিপশন কী রয়েছে এমন সার্ভারগুলোতে বিশেষ যত্ন প্রয়োগ করা আবশ্যক।
==== অপারেশন ডার্কনেট ====
.
২০১১ সালে, হ্যাক্টিভিস্ট গ্রুপটি লোলিটা সিটি নামে একটি লুকানো ওয়েবসাইটে আক্রমণ করেছিল যা শিশু পর্নোগ্রাফির চিত্র হোস্ট করেছিল। একে অপারেশন ডার্কনেট বলা হত এবং অ্যানোনিমাস কেবল ওয়েবসাইটটি ব্যবহার করে ১০০০ এরও বেশি পেডোফাইলের নাম প্রকাশ করেনি, তারা অসংখ্য ডিনায়াল-অফ-সার্ভিস আক্রমণ চালিয়েছিল যা শেষ পর্যন্ত ওয়েবসাইটটি অ্যাক্সেসযোগ্য হয়ে উঠেছিল।
==== আইএসের বিরুদ্ধে লড়াই ====
২০১৫ সালে প্যারিসে হামলার পর অ্যানোনিমাস আইএস সমর্থক ওয়েবসাইটগুলো হ্যাক করতে শুরু করে এবং কনটেন্ট বদলে ফেলে। অ্যানোনিমাসের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট হ্যাকিং গ্রুপ ঘোস্ট সেকের সহায়তায় দুটি ইউনিট আইএসের বেশ কয়েকটি ওয়েবসাইট ধ্বংস করতে কাজ করে। এর মধ্যে পাঠকদের 'শান্ত হওয়ার' পরামর্শ দেওয়ার বার্তা এবং ভায়াগ্রা এবং প্রোজাকের মতো ফার্মাসিউটিক্যালসের বিজ্ঞাপনও অন্তর্ভুক্ত ছিল। অ্যানোনিমাস বিশ্বাস করে যে আইএসআইএসকে ধ্বংস করার মূল চাবিকাঠি হলো গোষ্ঠী এবং তাদের বিশ্বাসকে খাটো করে দেখা এবং তারা যে সাইবার হামলা চালিয়েছে তা ঠিক এটিই করেছে। পাশাপাশি, তারা টুইটারের মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যময় আইএসআইএস সমর্থকদের সন্ধান করেছিল এবং অ্যাকাউন্টগুলো নিষ্ক্রিয় করতে সক্ষম হয়েছিল। তাদের লক্ষ্য ইন্টারনেট থেকে সব ধরনের সন্ত্রাসী কনটেন্ট সরিয়ে ফেলা যাতে আইএসআইএস-এর মতো গোষ্ঠীগুলোর পক্ষে তাদের বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া এবং নতুন সদস্য সংগ্রহ করা ক্রমশ কঠিন হয়ে পড়ে। এই হামলা চালানোর পর থেকে গোষ্ঠীটি আইএসআইএস সদস্যরা তাদের বার্তা ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য ব্যবহার করে এমন একটি জনপ্রিয় ওয়েবসাইট সরিয়ে ফেলতে সক্ষম হয়েছে।
=== সাইবার সন্ত্রাসবাদ ===
.
ইলেকট্রনিক এবং ডিজিটাল যুগের জন্মের সাথে সাথে এবং ইন্টারনেট এবং সাইবারস্পেসের সাথে কাজ করার, যোগাযোগ করার এবং বসবাসের জন্য একটি সাধারণ জায়গা হিসাবে; এবং দৈনন্দিন জীবনে জ্ঞান এবং ডেটা সহজলভ্যতার সম্ভাবনার সাথে সন্ত্রাসীদের গোষ্ঠী এই নতুন স্থানটিকে কোনও ধরণের অস্ত্র বা বোমা ব্যবহার না করে আতঙ্ক ও সন্ত্রাস তৈরি করে ব্যবহার করতে শুরু করেছে, তবে কম্পিউটার নেটওয়ার্কগুলোর ইচ্ছাকৃত, বড় আকারের বিঘ্ন সহ সাইবারস্পেসের বিভিন্ন ধরণের ক্রিয়াকলাপ ব্যবহার করে, বিশেষ করে ইন্টারনেটের সাথে সংযুক্ত ব্যক্তিগত কম্পিউটারগুলোতে।
==== সংজ্ঞা ====
.
সাইবার সন্ত্রাস শব্দটি আমাদের জগতে একটি আপেক্ষিক নতুন শব্দ এবং অভিধান তার অর্থ এবং প্রকৃতির ভিন্ন ব্যাখ্যা অনুমান করতে পারে; পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে, পণ্ডিত বা সংবিধান আপনি ডাইনি শব্দটি পড়ছেন।
শব্দটির আরও সাধারণ সংজ্ঞা এবং সাইবার সন্ত্রাসবাদের ক্রিয়াটি অ্যালার্ম এবং আতঙ্ক তৈরির প্রাথমিক উদ্দেশ্যে তথ্য ব্যবস্থার বিরুদ্ধে আক্রমণ নিয়ে গঠিত এবং ব্যক্তিগত উদ্দেশ্যগুলোর জন্য ধ্বংস ও ক্ষতি করার জন্য কম্পিউটার, নেটওয়ার্ক এবং পাবলিক ইন্টারনেটের ইচ্ছাকৃত ব্যবহার হিসাবেও সংজ্ঞায়িত করা যেতে পারে।
কিন্তু উদাহরণস্বরূপ আমরা আরেকটি সংজ্ঞা দিতে পারি এবং ন্যাটো (২০০৮) অনুসারে, সাইবার সন্ত্রাসবাদ "একটি সাইবার আক্রমণ যা কম্পিউটার বা যোগাযোগ নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে বা শোষণ করে যথেষ্ট ধ্বংস সৃষ্টি করে ভয় সৃষ্টি করে বা একটি সমাজকে একটি আদর্শিক লক্ষ্যে ভয় দেখায়।
সাইবার সন্ত্রাসবাদের আরেকটি সংজ্ঞা দেওয়া হয়েছে ইউএস ন্যাশনাল ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রোটেকশন সেন্টার, হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের একটি অংশ: "কম্পিউটারের মাধ্যমে সংঘটিত একটি অপরাধমূলক কাজ যার ফলে সহিংসতা, মৃত্যু এবং / অথবা ধ্বংস হয় এবং সরকারকে তার নীতি পরিবর্তন করতে বাধ্য করার উদ্দেশ্যে সন্ত্রাস সৃষ্টি করে।
এই সমস্ত সংজ্ঞা সংক্ষেপে আমরা সাইবার সন্ত্রাসবাদ শব্দটিকে "সন্ত্রাসবাদ এবং সাইবারস্পেসের একত্রীকরণ" হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করতে পারি। সাধারণ অর্থে সাইবারস্পেস, ডিজিটাল এবং ইলেকট্রনিক ডিভাইসের একমাত্র ব্যবহারের মাধ্যমে একদল বা আরও মূলত একটি জাতি বা বিশ্বের অভ্যন্তরে সন্ত্রাস ও আতঙ্ক সৃষ্টির উদ্দেশ্যে যে কোনও সংস্থা দ্বারা করা যে কোনও ধরণের আক্রমণকে আচ্ছাদিত করতে পারে।
==== সাইবার সন্ত্রাসবাদের ইতিহাস ====
.
৮০ এর দশকের শেষের দিকে ব্যারি সি কলিন সাইবার সন্ত্রাসবাদ শব্দটি তৈরি করার পর এই যুক্তিতে জনসাধারণের আগ্রহ আমূল বৃদ্ধি পেয়েছে,[ দৈনন্দিন জীবনের অংশ এবং সাম্প্রতিক ইতিহাসের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা; এগুলো হলো কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সাইবার আক্রমণ এবং সন্ত্রাসবাদের কাজ যা যুক্তিতে দৃষ্টিভঙ্গিকে প্রভাবিত ও পরিবর্তন করেছিল এবং ব্যাপক জনসাধারণের স্বীকৃতি অর্জন করেছিল।
২০০২ সালের ডিসেম্বরে নাসা হ্যাক হওয়ার ভয়ে শাটল লঞ্চের আগে সংযুক্তি সহ ইমেলগুলো ব্লক করতে বাধ্য হয়েছিল এবং বিজনেস উইক জানিয়েছে যে সর্বশেষ মার্কিন মহাকাশ উৎক্ষেপণ যানবাহনের পরিকল্পনা অজানা বিদেশী অনুপ্রবেশকারীদের দ্বারা প্রাপ্ত হয়েছিল। ২০০ ২০০৭ সালের এপ্রিলে এস্তোনিয়ান সরকারী নেটওয়ার্কগুলো অজানা বিদেশী অনুপ্রবেশকারীদের দ্বারা পরিষেবা প্রত্যাখ্যান আক্রমণ দ্বারা হয়রানি করা হয়েছিল, যুদ্ধের স্মৃতিসৌধ অপসারণের বিষয়ে রাশিয়ার সাথে দেশের বিরোধের পরে। কিছু সরকারি অনলাইন সেবা সাময়িকভাবে ব্যাহত হয় এবং অনলাইন ব্যাংকিং বন্ধ করে দেওয়া হয়। ২০০৮ সালের আগস্টে জর্জিয়ার কম্পিউটার নেটওয়ার্কগুলো অজ্ঞাত বিদেশী অনুপ্রবেশকারীদের দ্বারা হ্যাক করা হয়েছিল যখন দেশটি রাশিয়ার সাথে দ্বন্দ্বে ছিল। জর্জিয়ার সরকারি ওয়েবসাইটে গ্রাফিতি দেখা গেছে। ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে গাজা স্ট্রিপে ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে সামরিক আগ্রাসনের সময় হ্যাকাররা ইসরায়েলের ইন্টারনেট অবকাঠামোতে হামলা চালায়। সরকারি ওয়েবসাইটকে কেন্দ্র করে চালানো এই হামলা চালিয়েছে অন্তত ৫০ লাখ কম্পিউটার। গত অক্টোবরে রুশ প্রতিষ্ঠান ক্যাসপারস্কি বিশ্বব্যাপী 'রেড অক্টোবর' নামে একটি সাইবার আক্রমণের সন্ধান পায়, যা অন্তত ২০০৭ সাল থেকে কাজ করে আসছে। মাইক্রোসফটের ওয়ার্ড ও এক্সেল প্রোগ্রামের দুর্বলতার মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করে হ্যাকাররা। হামলার প্রাথমিক লক্ষ্য পূর্ব ইউরোপ, সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং মধ্য এশিয়ার দেশগুলো বলে মনে হচ্ছে, যদিও পশ্চিম ইউরোপ এবং উত্তর আমেরিকাতেও হতাহতের খবর পাওয়া গেছে। অক্টোবর ২০১৩ সালে ন্যাটো কম্পিউটার ইনসিডেন্ট রেসপন্স ক্যাপাবিলিটি আপগ্রেড প্রজেক্ট, ন্যাটো সাইবার ডিফেন্সের একটি ৫৮ মিলিয়ন ইউরো বর্ধন, অক্টোবর ২০১৩ এর শেষের দিকে সমাপ্তির পথে রয়েছে। এই প্রধান সক্ষমতার মাইলফলকটি ন্যাটোকে জোটের তথ্য ব্যবস্থার বিরুদ্ধে ক্রমবর্ধমান সাইবার আক্রমণ থেকে তার নেটওয়ার্কগুলোকে আরও ভালভাবে রক্ষা করতে সহায়তা করবে।
==== সাইবার সন্ত্রাসবাদের ধরন ====
.
সাইবার সন্ত্রাসবাদের ক্রিয়াকলাপের বিভিন্ন ধরণের এবং ফর্ম থাকতে পারে, বিভিন্ন সংস্থা তাদের শত্রুর মনের ভিতরে আতঙ্ক এবং সন্ত্রাস ইনস্টল করতে চায় তার সর্বোত্তম অর্জন করতে সাইবার সন্ত্রাসবাদের বিভিন্ন ফর্ম ব্যবহার করে, আমরা পাঁচটি বড় গ্রুপে বিভক্ত করতে পারি:
# '''গোপনীয়তা লঙ্ঘন:''' কোনও ব্যক্তির গোপনীয়তায় আক্রমণ করা এবং তার অনুমতি ছাড়াই তার তথ্য ভাগ করে নেওয়া।
# '''গোপন তথ্য বরাদ্দ এবং তথ্য চুরি:''' গোপনীয় তথ্য বা তথ্য বরাদ্দ যা উদাহরণস্বরূপ প্রতিরক্ষা এবং অন্যান্য শীর্ষ গোপনীয়তা ধারণ করতে পারে, যা সরকার অন্যথায় ভাগ করতে চাইবে না
# '''ই-গভর্ন্যান্স ভিত্তি ধ্বংস:''' ই-গভর্ন্যান্সের লক্ষ্য হলো সরকারী অফিসগুলোর সাথে নাগরিকদের মিথস্ক্রিয়া নির্বিঘ্ন করা এবং অবাধ ও স্বচ্ছ পদ্ধতিতে তথ্য ভাগ করে নেওয়া
# '''ডিস্ট্রিবিউটেড ডিনায়াল অব সার্ভিস অ্যাটাক:''' সরকার এবং এর এজেন্সিগুলোকে বৈদ্যুতিন ঘাঁটিগুলোর উপর অতিরিক্ত চাপ দেওয়ার জন্য বিতরণ অস্বীকার পরিষেবা (ডিডিওএস) পদ্ধতিটি ব্যবহার করুন; এটি সংস্থাগুলো এবং তার সরকারের আর্থিক এবং কৌশলগত ক্ষতির কারণ হতে পারে
# '''নেটওয়ার্ক ক্ষতি এবং বিঘ্ন:''' নেটওয়ার্ক বা ওয়েবসাইটগুলোতে বড় ক্ষতি বা বিতরণ ঘটায়; এই প্রক্রিয়ায় কম্পিউটার টেম্পারিং, ভাইরাস আক্রমণ, হ্যাকিংয়ের সংমিশ্রণ জড়িত থাকতে পারে।
==== এস্তোনিয়া ২০০৭ ====
.এস্তোনিয়ায় যা ঘটছে এটি আধুনিক ইতিহাসে সাইবার সন্ত্রাসবাদের সবচেয়ে বিখ্যাত ঘটনাগুলোর মধ্যে একটি, বৃহত্তম সমন্বিত সাইবার আক্রমণ হিসাবে বিবেচিত। বেশ কয়েকদিন ধরে চলা ডিডিওএস আক্রমণের ঢেউয়ের শেষে, অনেক এস্তোনিয়ান ব্যাংক, সংবাদ সংস্থা এবং সরকারী ওয়েবসাইট হ্যাক এবং বিকৃত করা হয়েছিল। এস্তোনিয়ায়, DDoS আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু ছিল সরকারী সংস্থা এবং বেসরকারী এস্তোনিয়ান কোম্পানি উভয়ই। কিছু কার্যকারিতা বজায় রাখার জন্য, সরকার বেশ কয়েক দিনের জন্য এস্তোনিয়ার বাইরের আইপি ঠিকানাগুলো থেকে অবরুদ্ধ অনুরোধের আশ্রয় নিয়েছিল। অনেক আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং সংবাদ সংস্থা আক্রমণ বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত কয়েক ঘন্টা ধরে অফলাইন সার্ভারগুলোর সাথে মোকাবেলা করেছিল। অর্থনৈতিক ক্ষতির পরিপ্রেক্ষিতে, ২০০৭ সালের সাইবার আক্রমণগুলো এস্তোনিয়ার অর্থনীতিতে খুব কম প্রভাব ফেলেছিল, তবে কেউ কেউ এস্তোনিয়াকে ভয় দেখানোর বা মূর্তিটির স্থানান্তরের প্রতিশোধ নেওয়ার স্পষ্ট প্রচেষ্টা বলে মনে করেছিলেন। স্পষ্ট প্রমাণ ছাড়া এই হামলার রাজনৈতিক তাৎপর্য অস্পষ্ট রয়ে গেছে।
এস্তোনিয়ায় সাইবার আক্রমণগুলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং বৃহত্তর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে সাইবার যুদ্ধের দ্বারা সৃষ্ট হুমকির তীব্রতাকে আরও জোরদার করেছে। তবে আক্রমণগুলোর স্কেল যা এস্তোনিয়ার তথ্য অবকাঠামোকে পঙ্গু করে দিয়েছিল তা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সীমিত ক্ষতি করবে, যার ব্যান্ডউইথ ক্ষমতা এস্তোনিয়ার তুলনায় একটি বড় পরিমাপের চেয়ে বামন। তা সত্ত্বেও, যথেষ্ট মাত্রায় চালানো একটি আক্রমণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তথ্য প্রযুক্তি এবং গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোকে অনুমেয়ভাবে পঙ্গু করে দিতে পারে, বিশেষত যদি চীন বা রাশিয়ার মতো বিদেশী সরকার এই জাতীয় আক্রমণ চালায়।
২০০ ২০০৭ সালে এস্তোনিয়ায় হামলার ফলাফল বিশ্বের উপর এবং সাইবার সন্ত্রাসবাদের যুক্তিতে বিশাল প্রভাব ফেলেছিল যা বিভিন্ন জাতি এবং জনগণকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর এই নতুন ধরণের ক্রিয়াকলাপ সম্পর্কে আরও সচেতন করে তোলে, ইন্টারনেটের সুরক্ষা সম্পর্কে নতুন বিতর্ক এবং ব্যক্তিগত এবং গুরুত্বপূর্ণ নথি এবং ফাইলগুলোতে কিছু ব্যক্তির সহজ অ্যাক্সেস নিয়ে আসে।
=== বিখ্যাত ঘটনাসমূহ ===
হ্যাকিংয়ের সাম্প্রতিক ঘটনাগুলো বিভিন্ন কারণে বিখ্যাত। সবচেয়ে দর্শনীয় হলো সেগুলো যা হাজার হাজার লোককে প্রভাবিত করে, বা পূর্বে অলঙ্ঘনীয় হিসাবে বিবেচিত সুরক্ষা ব্যবস্থাগুলো ভেঙে দেয় বা কেবল সেলিব্রিটিদের সাথে সম্পর্কিত গোপনীয়তা প্রকাশ করে।
==== টকটক ====
২০১৫ সালের অক্টোবরে টেলিযোগাযোগ কোম্পানিটিকে টার্গেট করা হয়। বিবিসি জানিয়েছে, ১ লাখ ৫৬ হাজার ৯৫৯ জন গ্রাহক আক্রান্ত হয়েছেন। হ্যাকাররা নাম, ঠিকানা, জন্ম তারিখ, টেলিফোন নম্বর এবং ইমেল ঠিকানাগুলোর মতো অন্যান্য সংবেদনশীল ডেটা সহ ক্রেডিট কার্ড নম্বর চুরি করেছে। প্রায় ২৮ ০০০ ক্রেডিট এবং ডেবিট কার্ডকে "অস্পষ্ট" হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছিল এবং আর্থিক লেনদেনে ব্যবহার না করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। হামলার পর কয়েকদিন ধরে টকটকের প্রধান নির্বাহী ডিডো হার্ডিং বিভিন্ন তথ্য অনুষ্ঠানে ঘন ঘন অতিথি ছিলেন যেখানে তিনি বিদ্যমান পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন। টকটক ওয়েবসাইট এবং হেল্পলাইন বেশ কয়েকদিন ধরে কাজ করেনি, কেবল সংক্ষিপ্ত বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিল যে সংস্থাটি দূষিত হ্যাকিং আক্রমণ এবং পুলিশের সাথে সহযোগিতার তথ্য দ্বারা লক্ষ্যবস্তু হয়েছিল। আক্রমণের পর টকটক তাদের গ্রাহকদের আক্রমণের মাত্রা সম্পর্কে কোনও নির্দিষ্ট তথ্য ছাড়াই ছেড়ে দেওয়া এবং এনক্রিপশন আকারে কোনও সুরক্ষা ছাড়াই সংবেদনশীল ডেটা সংরক্ষণ করার জন্য সমালোচিত হয়েছিল।
==== অ্যাপলের 'র্যানসম' হামলা ====
২০১৬ সালের ৪ মার্চ প্রথমবারের মতো হ্যাকারদের কবলে পড়ে অ্যাপল। নিরাপত্তার জন্য বিখ্যাত প্রতিষ্ঠানটি কেরেঞ্জার নামে পরিচিত ক্ষতিকর সফটওয়্যারের কাছে পরাজিত হয়। আক্রমণকারী ম্যাক থেকে ৩০০ ধরনের ফাইল ও তথ্য চুরি করে র্যানসমওয়্যার হিসেবে কাজ করে কেরেঞ্জার। তারপরে এটি তাদের এনক্রিপ্ট করে এবং চুরি করা ডেটা প্রকাশের জন্য মুক্তিপণ দাবি করে। ভুক্তভোগী অর্থ প্রদান না করা পর্যন্ত ফাইলগুলো লক করা হয়। দাম এক বিটকয়েন। ভার্চুয়াল মুদ্রা বুদ্ধিমান ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের দ্বারা ব্যবহৃত হয় কারণ এটি ট্রেস করা কঠিন। wired.co.uk মতে, ম্যালওয়্যারটি ট্রান্সমিশন নামে জনপ্রিয় ফাইল-শেয়ারিং অ্যাপ্লিকেশনটিতে এম্বেড করা ছিল যা অ্যাপলের গেটকিপার সফটওয়্যার যাচাইকরণ সিস্টেম দ্বারা গৃহীত হয়েছিল। এ বিষয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করেনি অ্যাপল।
==== সনি পিকচার্স হ্যাক ====
২০১৪ সালের অক্টোবরে একদল হ্যাকার নিজেদের গার্ডিয়ান অব পিস হিসেবে পরিচয় দিয়ে সনি পিকচার্স এন্টারটেইনমেন্টের কম্পিউটার সিস্টেম ভেঙে বিপুল পরিমাণ গোপনীয় তথ্য প্রকাশ করে। চুরি যাওয়া তথ্যের বেশিরভাগই সনি পিকচার্সের কর্মীদের ব্যক্তিগত বিবরণ যেমন ঠিকানা এবং ইমেলের সাথে মেডিকেল রেকর্ড এবং বেতনের সাথে জড়িত। হ্যাকাররা অপ্রকাশিত চলচ্চিত্র এবং স্ক্রিপ্টও প্রকাশ করেছিল (উদা: স্পেক্টর)। হ্যাকারদের অন্যতম লক্ষ্য ছিল সনিকে 'দ্য ইন্টারভিউ' ছবির মুক্তি বন্ধ করতে বাধ্য করা। সিনেমার প্লট উত্তর কোরিয়ার নেতাকে হত্যার উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে। এটি অপরাধীদের হামলার সাথে যুক্ত করতে সহায়তা করেছিল। অভিযোগের সত্যতা যাচাই করা হয়নি। সংস্থাটি সিনেমাটির মুক্তি স্থগিত করার ঘোষণা দিয়েছিল তবে শেষ পর্যন্ত ছবিটি ২৫ ডিসেম্বর নির্বাচিত প্রেক্ষাগৃহে উপলব্ধি করা হয়েছিল। হামলার ব্যাপকতা এবং গুরুত্ব সত্ত্বেও মিডিয়া মামলার গসিপি দিকটির দিকে মনোনিবেশ করেছিল।
=== অনলাইন পরিচয় জালিয়াতি ===
ইন্টারনেট আধুনিক যুগে পরিচয় চুরি এবং জালিয়াতি ঘটে এমন অন্যতম প্রচলিত উপায়, এখন ১.৬ বিলিয়নেরও বেশি সামাজিক নেটওয়ার্ক ব্যবহারকারীর সাথে আমাদের নাম এবং জন্ম তারিখ থেকে শুরু করে আমাদের ঠিকানা, ফোন নম্বর এবং ব্যক্তিগত ফটো পর্যন্ত অনলাইনে সহজেই অ্যাক্সেসযোগ্য ব্যক্তিগত ডেটার একটি বিশাল প্রসারিত পরিমাণ রয়েছে। সমস্ত সহজেই অনলাইনে অ্যাক্সেসযোগ্য, এবং হ্যাঁ, যদিও প্রোফাইলগুলো ব্যক্তিগত হতে পারে, আমরা অনলাইনে কতটা দৃশ্যমান তা জানার কোনও আসল উপায় আছে কি? প্রথমে আমাদের বিবেচনা করতে হবে যে 'পরিচয় জালিয়াতি' আসলে কী, এবং চুরি এবং জালিয়াতির মধ্যে পার্থক্য কী? আপনি নন এমন কেউ হওয়ার ভান দিয়ে শুরু করা প্রযুক্তিগতভাবে জালিয়াতি নয়, এটি কেবল তখনই জালিয়াতি হয়ে যায় যখন সেই ব্যক্তির পরিচয়টি প্রতারণার জন্য ব্যবহৃত হয়, উদাহরণস্বরূপ একটি মিথ্যা পরিচয়ের অধীনে নথি বা ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার জন্য। পরিচয় চুরি মিথ্যা ছদ্মনামে অনলাইনে মিথস্ক্রিয়া করে অন্যকে প্রতারিত করার জন্য অন্য কারও নাম এবং ফটো ব্যবহার করার মতো সহজ হতে পারে। টেলিভিশন সিরিজ 'ক্যাটফিশ' যা একটি ডকুমেন্টারি প্রোগ্রাম যা সামাজিক নেটওয়ার্ক ব্যবহারকারীদের মধ্যে অনলাইন মিথস্ক্রিয়াকে কেন্দ্র করে এবং শো তাদের একত্রিত করার চেষ্টা করে। প্রোগ্রামটি একটি ছোট স্কেলে প্রচুর পরিমাণে পরিচয় চুরি উন্মোচন করে, যার মাধ্যমে মিথ্যা পরিচয় বা ফটোগুলো অন্য প্রান্তে ব্যক্তিকে প্রতারণা করতে ব্যবহৃত হয়। '৭৩% ক্যাটফিশ অন্য ব্যক্তির (বা একাধিক লোকের) ছবি নিজের মতো করে পাস করে' এই উদাহরণটি সত্যই জোর দেয় যে আপনার পরিচয় চুরি করা আসলে কতটা সাধারণ, এমনকি একটি ছোট স্কেলেও।
"এটি প্রস্তাব করা হয়েছে যে বিশ্বজুড়ে অনেকের দৈনন্দিন জীবনে ইন্টারনেটের বিস্তার পরিচয় চুরির বৃদ্ধিতে কিছুটা ইন্ধন জোগাতে পারে। চুরি হওয়া পরিচয় অ্যাক্সেস করে, অপরাধীরা এই উপনামটি ব্যবহার করে পণ্য অর্ডার এবং কেনা থেকে শুরু করে 'ক্রেডিট কার্ড, ঋণ এবং রাষ্ট্রীয় সুবিধা প্রাপ্তি যে কোনও সংখ্যক অপরাধ করতে পারে। 'আপনি যদি পরিচয় চুরির শিকার হন তবে এটি জালিয়াতির দিকে পরিচালিত করতে পারে যা আপনার ব্যক্তিগত আর্থিক উপর সরাসরি প্রভাব ফেলতে পারে এবং বিষয়টি সমাধান না হওয়া পর্যন্ত আপনার পক্ষে ঋণ, ক্রেডিট কার্ড বা বন্ধকী পাওয়া কঠিন করে তুলতে পারে' যদিও প্রাথমিকভাবে মনে হতে পারে না যে দরকারী তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যময় অ্যাক্সেস করা যায়, প্রতারকরা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম অ্যাকাউন্টে প্রদত্ত তথ্য লিঙ্ক করতে সক্ষম হয় এবং প্রকৃতপক্ষে গভীরভাবে তথ্য খুঁজে পেতে পারে যা ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মতো অফিসিয়াল অ্যাকাউন্ট স্থাপনের জন্য অত্যাবশ্যক। অনেক সময়, সুরক্ষা প্রশ্নের উত্তর থাকে যা অনলাইনে পাওয়া যায় উদাহরণস্বরূপ, মায়ের প্রথম নাম বা প্রথম প্রাথমিক বিদ্যালয়, প্রায়ই সমস্ত তথ্য যা সম্ভবত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের মাধ্যমে পাওয়া যেতে পারে। '২৬% বলেছেন যে তারা জন্মদিন বা নামের মতো মনে রাখা সহজ পাসওয়ার্ড ব্যবহার যা সমস্ত তথ্য যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের মাধ্যমে অনলাইনে অ্যাক্সেস করা যায়। অপরাধীরা দুর্বল পাসওয়ার্ডের মাধ্যমে হ্যাক করতে বা ইন্টারনেটের মাধ্যমে ভোক্তাদের সুবিধা নিতে পারদর্শী হয়ে উঠছে। এটি আমাদের প্রশ্ন করে তোলে, আমাদের কি সত্যিই এই সমস্ত তথ্য অনলাইনে এত সহজলভ্য করা উচিত?
'রুটিন কার্যকলাপ তত্ত্ব, পরামর্শ দেয় যে নির্দিষ্ট অনলাইন ভিকটিম রুটিনগুলো পরিচয় চুরির শিকারের সুযোগকে সহজতর করে। এটি পরামর্শ দেয় যে লোকেরা নিয়মিত অনলাইনে কেনাকাটা করে, উদাহরণস্বরূপ, বা নিয়মিত অনলাইন রুটিন রয়েছে তাদের পরিচয় চুরির শিকার হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। আমাদের অনলাইন রুটিনের মতো সাধারণ কিছু আমাদের শিকার হওয়ার সম্ভাবনা আরও বাড়িয়ে তুলবে, এটি প্রতিরোধে আমরা কীভাবে পদক্ষেপ নিতে পারি তা প্রশ্নবিদ্ধ করে তোলে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যময় শক্তিশালী পাসওয়ার্ড এবং ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট সেটিংস থাকা একটি মূল সূচনা পয়েন্ট। "সাইবার অপরাধীদের কারণে আমাদের প্রতি পাঁচজনের মধ্যে একজন অর্থ হারিয়েছেন এবং প্রতি অনলাইন আক্রমণে মাথাপিছু গড় ক্ষতির পরিমাণ ২৪৭ পাউন্ড। এই চিত্রটি দেখায় যে ইন্টারনেট জালিয়াতি কত ঘন ঘন ঘটে এবং আপনি যদি অনলাইনে ভারী সক্রিয় থাকেন তবে আপনার ব্যাংকিং এবং আর্থিক চেক আপ প্রায়ই নজরে আসে না জালিয়াতির বিরুদ্ধে সুরক্ষার মূল চাবিকাঠি।
যদিও পরিচয় চুরি নিজেই একটি অপরাধ নয়, 'জালিয়াতি একটি অপরাধ যেখানে ব্যক্তিগত লাভের জন্য এক ধরনের প্রতারণা ব্যবহার করা হয়। প্রযুক্তির অগ্রগতির সাথে সাথে প্রতারকরা ক্রমবর্ধমান পরিশীলিত হয়ে উঠেছে এবং অনেক ধরণের জালিয়াতি বিদ্যমান। অনলাইন এবং ইন্টারনেট জালিয়াতি সেখানে অনেক ধরনের জালিয়াতির মধ্যে একটি এবং এটি এমন একটি সমস্যা যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং অনলাইন কার্যকলাপ বৃদ্ধির সাথে আরও খারাপ হচ্ছে।
== বিভিন্ন দেশে ইন্টারনেটে প্রবেশাধিকার - একটি ভূমিকা ==
=== মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশাধিকার ===
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ইন্টারনেট একটি ব্যাপকভাবে উপলব্ধ সম্পদ বলে মনে করা হয়, নাগরিকদের অ্যাক্সেসের পরিমাণের কারণে। আমেরিকান পরিবারগুলো বিভিন্ন ডিভাইসে অ্যাক্সেস থাকার কথা জানিয়েছে, যা ইন্টারনেট অ্যাক্সেস সক্ষম করে। অনুযায়ী আমেরিকান আদমশুমারি ব্যুরো ৮৩.৮৫% আমেরিকান পরিবার কম্পিউটারের মালিকানার কথা জানিয়েছে। এর পাশাপাশি, ৬৩.৬% একটি হ্যান্ডহেল্ড কম্পিউটার ডিভাইসের মালিকানা রিপোর্ট করেছে, যেমন একটি স্মার্টফোন।
বেশ কয়েকটি বিভিন্ন ব্রডব্যান্ড আমেরিকান পরিবারগুলো সহজেই ইন্টারনেট অ্যাক্সেস নিশ্চিত করে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে শীর্ষ সরবরাহকারীরা প্রত্যেকে ইন্টারনেটে সহজে অ্যাক্সেস সহ ১ মিলিয়নেরও বেশি পরিবারকে সরবরাহ করে। শীর্ষ ব্রডব্যান্ড সরবরাহকারী কমকাস্টের বর্তমানে ২২,৮৬৮,০০০ গ্রাহক রয়েছে, এটিএন্ডটি ১৫,৮৩২,০০০ এর পিছনে রয়েছে। এই পরিসংখ্যানগুলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিয়মিতভাবে ইন্টারনেট অ্যাক্সেস করে এমন ব্যক্তিদের উচ্চ সংখ্যার একটি স্পষ্ট প্রদর্শন।
এটি দেখা যায় যে কোনও ব্যক্তির শিক্ষার স্তর তাদের ইন্টারনেট অ্যাক্সেস করার ক্ষমতাকে প্রভাবিত করে। মার্কিন পরিসংখ্যানে দেখা গেছে যে একজন ব্যক্তি উচ্চশিক্ষার স্তরে পৌঁছেছেন, তারা ইন্টারনেটের সাথে সংযোগের জন্য অর্থ প্রদান করতে তত বেশি ঝোঁক। যারা হাই স্কুল ডিপ্লোমার চেয়ে কম অর্জন করেছেন তাদের মধ্যে মাত্র ৪৩.৮% ইন্টারনেটে অ্যাক্সেস থাকার কথা জানিয়েছেন। এর বিপরীতে, যারা উচ্চতর স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন তারা ইন্টারনেট অ্যাক্সেসের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি সংখ্যক ব্যক্তির কথা জানিয়েছেন, ৯০.১% এটি করেছেন। আমেরিকান সমাজ ব্রডব্যান্ড সংযোগের ব্যাপক ব্যয়ের কারণে কম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন ব্যক্তিদের পক্ষে ইন্টারনেট অ্যাক্সেস করা আরও কঠিন করে তোলে। ইন্টারনেট ব্যবহারের জন্য একজন সাধারণ নাগরিককে মাসে ৯০ ডলার দিতে হবে। এটি নিম্ন স্তরের শিক্ষার জন্য একটি বাধা তৈরি করে, কারণ এই ব্যক্তিরা কম বেতনের চাকরি ধরে রাখতে পারে। ওটি এই ব্যয়গুলো নিয়ন্ত্রণহীন করে তোলে।
==== মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ইন্টারনেট কর ====
ইন্টারনেট ট্যাক্স ফ্রিডম অ্যাক্ট ১৯৯৮ সালে কার্যকর হয়েছিল। আইনটির এই অংশটি ইন্টারনেটে প্রত্যক্ষ করের সম্প্রসারণ বন্ধ করে দেয়, যা ১৯৯০ এর দশকের শেষের দিকে শুরু হয়েছিল[ আইনটি ফেডারেল, রাজ্য এবং স্থানীয় সরকারগুলোকে ইন্টারনেট অ্যাক্সেসের উপর কর আরোপের পাশাপাশি বিট ট্যাক্স, ব্যান্ডউইথ ট্যাক্স এবং ইমেল ট্যাক্সের মতো বৈষম্যমূলক ইন্টারনেট-কেবল কর নিষিদ্ধ করতে বাধা দেয়। এই আইনটি অনলাইনে কেনা আইটেমগুলোতে বিক্রয় করকে প্রভাবিত করে না, কারণ এই আইটেমগুলো ইন্টারনেটের সাথে বিক্রয় হিসাবে একই রাজ্য বা স্থানীয় পর্যায়ে কর আদায় করা হয়।
==== মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ইন্টারনেট সেন্সরশিপ ====
.
ইন্টারনেট সেন্সরশিপের ক্ষেত্রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে খুব কম আইন বিদ্যমান। এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের প্রথম সংশোধনীর মধ্যে বাক স্বাধীনতার ভিত্তি হওয়ার কারণে। এটি মার্কিন নাগরিকদের দৈনন্দিন জীবনে অবাধে তাদের মতামত এবং ধারণা প্রকাশ করার অধিকার দেয়, তবে এটি অনলাইন পরিবেশেও প্রসারিত।
এই সত্ত্বেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকার কর্তৃক এখনও কয়েকটি আইন রয়েছে, যা বিভিন্ন কারণে ইন্টারনেটে অ্যাক্সেস সেন্সর করে।
==== শিশুদের ইন্টারনেট সুরক্ষা আইন (সিআইপিএ) ====
.
২০০০ সালের ২১ ডিসেম্বর শিশুদের ইন্টারনেট সুরক্ষা আইন আইনে পরিণত হয়। এই আইনটি তরুণ ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের সুরক্ষার জন্য ফেডারেল ইউনিভার্সাল তহবিল বা ইন্টারনেট অ্যাক্সেস বা অভ্যন্তরীণ সংযোগের জন্য অনুদান প্রাপ্ত সমস্ত কে -১২ স্কুল এবং গ্রন্থাগারগুলোর প্রয়োজন।
এই আইনের অধীনে এই প্রতিষ্ঠানগুলোকে অবশ্যই একটি ইন্টারনেট সুরক্ষা নীতি গ্রহণ এবং বাস্তবায়ন করতে হবে। এই নীতিটি ইন্টারনেটে অনুপযুক্ত সামগ্রীতে অপ্রাপ্তবয়স্কদের অ্যাক্সেস, সরাসরি বৈদ্যুতিন যোগাযোগের ফর্মগুলো ব্যবহার করার সময় অপ্রাপ্তবয়স্কদের সুরক্ষা, অনলাইনে অপ্রাপ্তবয়স্কদের অননুমোদিত অ্যাক্সেস এবং অন্যান্য বেআইনী ক্রিয়াকলাপ, অপ্রাপ্তবয়স্কদের ব্যক্তিগত বিবরণের অননুমোদিত প্রকাশ ও ব্যবহার এবং ক্ষতিকারক উপাদানগুলোতে অপ্রাপ্তবয়স্কদের অ্যাক্সেসকে সীমাবদ্ধ করার ব্যবস্থাগুলোকে সম্বোধন করতে হবে। অপ্রাপ্তবয়স্কদের ছবি অ্যাক্সেস করা থেকে বিরত রাখতে এই প্রতিষ্ঠানগুলোকে অবশ্যই ইন্টারনেট ফিল্টার বা ব্লকিং সফটওয়্যার ইনস্টল করতে হবে, যা অনুপযুক্ত বলে মনে করা হয়, উদাহরণস্বরূপ শিশু পর্নোগ্রাফি। এই আইনের অধীনে একটি চূড়ান্ত পদক্ষেপের জন্য এই প্রতিষ্ঠানগুলোকে < অপ্রাপ্তবয়স্কদের অনলাইন ক্রিয়াকলাপ পর্যবেক্ষণ করার জন্য একটি নীতি গ্রহণ এবং প্রয়োগ করতে হবে।
==== শিশু অনলাইন সুরক্ষা আইন (কোপা) ====
চাইল্ড অনলাইন প্রোটেকশন অ্যাক্ট (সিওপিএ) ১৯৯৮ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাস হওয়া একটি আইন। এই আইনের উদ্দেশ্য ছিল ইন্টারনেটে অপ্রাপ্তবয়স্কদের দ্বারা এই জাতীয় অপ্রাপ্তবয়স্কদের পক্ষে ক্ষতিকারক হিসাবে বিবেচিত যে কোনও উপাদানে অ্যাক্সেস সীমাবদ্ধ করা। চাইল্ড অনলাইন প্রোটেকশন অ্যাক্টের অধীনে, "অপ্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ক্ষতিকারক উপাদান" এর সমস্ত বাণিজ্যিক বিতরণকারীদের অপ্রাপ্তবয়স্কদের দ্বারা তাদের সাইটে অ্যাক্সেস সীমাবদ্ধ করতে হবে। এই আইনের অধীনে "অপ্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ক্ষতিকারক উপাদান" উপাদান হিসাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছিল, যা "সমসাময়িক সম্প্রদায়ের মান" দ্বারা "বিচক্ষণ স্বার্থের কাছে আবেদন করা এবং যৌন কাজ বা নগ্নতা দেখানোর জন্য বিচার করা হয়েছিল।
তবে ২০০৭ সালে বিচারক রিড এই আইনটি বাতিল করে দেন। তিনি দাবি করেন, এই আইন মার্কিন সংবিধানের প্রথম ও পঞ্চম সংশোধনীর লঙ্ঘন। এটি অসাংবিধানিক বলে প্রমাণিত হওয়ার কারণে ২০০৯ সালে আইনটির উপর স্থায়ী নিষেধাজ্ঞার দিকে পরিচালিত করে।
==== শত্রুর সাথে বাণিজ্য আইন ====
শত্রুর সাথে বাণিজ্য আইন (১৯১৭) বৈদেশিক সম্পদ নিয়ন্ত্রণ অফিস তৈরি করেছে। এই সংস্থাটি ২০০৮ সালে একটি কালো তালিকা প্রকাশ করেছিল, যা বেশ কয়েকটি ওয়েবসাইটের রূপরেখা দিয়েছিল যা আমেরিকান সংস্থাগুলোর সাথে ব্যবসা করা নিষিদ্ধ ছিল। কালো তালিকার প্রভাব রয়েছে যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক সমস্ত ডোমেনকে অবশ্যই এই ওয়েবসাইটগুলো ব্লক করতে হবে।
এই আইনটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বেশ কয়েকটি ওয়েবসাইট সেন্সর করে এবং তাদের অ্যাক্সেস রোধ করে। সুতরাং এর অর্থ হলো এই আইনের কারণে আমেরিকান নাগরিকদের অন্যান্য জাতির মতো ইন্টারনেটে একই অ্যাক্সেস থাকবে না।
=== তুরস্কে প্রবেশাধিকার ===
.
তুরস্কে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ব্যক্তি রয়েছে যাদের পরিবারে ইন্টারনেট অ্যাক্সেস রয়েছে। ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে দেশটি বর্তমানে ১৭তম অবস্থানে রয়েছে, যার অনুপ্রবেশের হার ৪৬.৬২%। নাগরিকদের এই বিশাল অংশের ওয়েবে প্রবেশাধিকার থাকা সত্ত্বেও, তুর্কি সরকার এখনও ইন্টারনেটে প্রচুর বিধিনিষেধ এবং সেন্সরশিপ আরোপ করে।
==== তুরস্কে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ====
.
তুর্কি সরকার বিভিন্ন সময়ে দেশের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম প্ল্যাটফর্মের উপর নিষেধাজ্ঞা এবং বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। ২০১৪ সালে স্থানীয় নির্বাচনের আগে তুরস্ক টুইটার, ফেসবুক এবং ইউটিউবের মতো সাইটগুলো দেখেছিল। এটি ফাঁস হওয়া অডিও ফাইলগুলোর কারণে হয়েছিল, অনুমান করা হয়েছিল যে রাষ্ট্রপতি রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানের অভ্যন্তরীণ বৃত্তের মধ্যে দুর্নীতি প্রকাশ করা হয়েছিল, যিনি এই সময়ে রাষ্ট্রপতি ছিলেন।
২০১৫ সালে বন্দুকের মুখে একজন তুর্কি প্রসিকিউটরকে জিম্মি করার পর একটি ছবি ওয়েবে ছড়িয়ে পড়ার পর আরও ১৬৬টি ওয়েবসাইটের সঙ্গে একই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। তুর্কি আদালত বলেছিল যে চিত্রগুলো "সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠনের প্রচারণা এবং প্রসিকিউটরের পরিবারের জন্য বিরক্তিকর" হওয়ার কারণে এই নিষেধাজ্ঞা প্রয়োজনীয় ছিল
=== চীনে প্রবেশাধিকার ===
.
চীনে বর্তমানে অনলাইনে নাগরিকদের সর্বোচ্চ অনুপাত রয়েছে, ২০১৫ সালের হিসাবে ৬৪৯ মিলিয়ন ব্যবহারকারী অতিক্রম করেছে। চীনে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমগ্র জনসংখ্যাকে ছাড়িয়ে গেছে, দেশটিকে বৃহত্তম এবং দ্রুততম ক্রমবর্ধমান অনলাইন সম্প্রদায় দিয়েছে। ইন্টারনেট সাধারণত মোবাইল ডিভাইসে অ্যাক্সেস করা হয়, ৮০% ব্যবহারকারী স্মার্টফোন এবং ট্যাবলেটগুলোর মতো ডিভাইসের মাধ্যমে সংযোগ স্থাপন করে।
==== শহুরে/গ্রামীণ বিভাজন ====
চীনে ইন্টারনেট অ্যাক্সেস করার ক্ষমতার দিক থেকে অঞ্চলটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ, গ্রামীণ এলাকার নাগরিক এবং শহুরে এলাকায় বসবাসকারীদের মধ্যে খুব স্পষ্ট বিভাজন রয়েছে। ২০১২ সালে শহুরে অঞ্চলে বসবাসকারীদের জন্য অনুপ্রবেশের হার ছিল ৫০%। তবে এটি চীনের গ্রামীণ অঞ্চলে বসবাসকারীদের তুলনায় জনসংখ্যার একটি উল্লেখযোগ্যভাবে বৃহত্তর অনুপাত ছিল, অনুপ্রবেশের হার ছিল মাত্র ১৮.৫%। গ্রামীণ এলাকার পরিবারগুলো পুরো দেশ জুড়ে ইন্টারনেট ব্যবহারের মাত্র এক চতুর্থাংশ। এটি দেখায় যে চীনে একটি উল্লেখযোগ্য ভারসাম্যহীনতা রয়েছে, অনেক ব্যক্তির অন্যদের মতো ইন্টারনেট অ্যাক্সেস করার কম সুযোগ রয়েছে। এটি এই কারণে হতে পারে যে গ্রামীণ নাগরিকদের আয় কম থাকে, তাই ইন্টারনেট সংযোগ বহন করতে অক্ষম হয়, তবে এই অঞ্চলে উল্লেখযোগ্যভাবে কম স্থিতিশীল অবকাঠামোর কারণেও হতে পারে।
==== চীনে ইন্টারনেট সেন্সরশিপ ====
.
চীনে ইন্টারনেট সরকার কঠোরভাবে সেন্সর করেছে, দেশটিতে অনেক ওয়েবসাইট ডোমেইন অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে, যার ফলে "চীনের মহান ফায়ারওয়াল" নাম দেওয়া হয়েছে। হার্ভার্ডের একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে প্রায় ১৮,০০০ ওয়েবসাইট চীনের মূল ভূখণ্ড থেকে অবরুদ্ধ করা হয়েছে, সম্ভবত এই সংখ্যার চেয়ে অনেক বেশি [<blockquote>"কুসংস্কারাচ্ছন্ন, অশ্লীল, সহিংসতা সম্পর্কিত, জুয়া এবং ক্ষতিকারক তথ্য"</blockquote>এই দৃষ্টিভঙ্গি সত্ত্বেও, এটি দেখা যায় যে অনেক অবরুদ্ধ ওয়েবসাইটগুলো এই বিভাগগুলোতে না পড়ার কারণে এটি সঠিক নাও হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, ইমেল সরবরাহকারী জিমেইল অবরুদ্ধ, এবং এই ডোমেনটি বর্ণিত শ্রেণিবদ্ধকরণগুলোর কোনওটিতে অনুপ্রবেশ করে না।
চীন সরকার অনলাইনে বেশ কিছু বিষয় সেন্সর করেছে, যা অত্যন্ত রাজনৈতিক বলে মনে করা যেতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, ফালুন গং একটি সেন্সর করা বিষয়, কারণ সরকার এই দলটিকে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির জন্য একটি রাজনৈতিক হুমকি হিসেবে বিবেচনা করে। এর পাশাপাশি, "গণতন্ত্র", "পুলিশি বর্বরতা" এবং "বাক স্বাধীনতা" এর মতো শব্দগুলো চীনে বর্তমান শাসনকে রক্ষা করার জন্য অত্যন্ত সেন্সর করা হয়।
চীনে সেন্সরশিপ প্রায়ই ঘটে না যদি এটি করা একটি উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক পরিণতি সৃষ্টি করে বলে মনে করা হয়। উদাহরণস্বরূপ, গিটহাব ওয়েবসাইটে একটি ব্লক বিপরীত হয়েছিল চীনা সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট সম্প্রদায় সিদ্ধান্ত সম্পর্কে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক অভিযোগ করেছে।
==== তিয়েনআনমেন স্কয়ারের বিক্ষোভ ====
.
১৯৮৯ সালের তিয়েনআনমেন স্কয়ারের বিক্ষোভ চীনে ইন্টারনেট সেন্সরশিপের একটি বিখ্যাত উদাহরণ। ২০১০ সালে একটি সরকারী শ্বেতপত্রে বলা হয়েছে যে সরকার সুরক্ষা দেয়:<blockquote>"ইন্টারনেট তথ্যের নিরাপদ প্রবাহ এবং সক্রিয়ভাবে আইন অনুসারে ওয়েবসাইট পরিচালনা করতে এবং একটি স্বাস্থ্যকর ও সঠিক উপায়ে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে মানুষকে গাইড করে"</blockquote>এর অর্থ হলো, সরকার জনগণকে রাষ্ট্রীয় গোপন তথ্য অনলাইনে ফাঁস করতে এবং রাষ্ট্রের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে এমন কোনো তথ্য প্রকাশ করতে বাধা দিচ্ছে।
চীনের আইন মেনে চলা সার্চ ইঞ্জিনগুলো তিয়েনআনমেন স্কয়ার সম্পর্কে তথ্য সেন্সর করে, ট্যাঙ্ক ম্যানের মতো বাক্যাংশ সেন্সর করা হয়। এর কারণ 'ট্যাঙ্ক ম্যান' এই বিক্ষোভগুলো থেকে একটি উল্লেখযোগ্য আইকন, অজানা হওয়া সত্ত্বেও প্রচুর প্রচার অর্জন করেছিল। সরকার "৪ জুন" এর অনুরূপ উচ্চারণ বাক্যাংশগুলোও সেন্সর করে, কারণ এই তারিখে সরকার বিক্ষোভে হস্তক্ষেপ করেছিল।
আগে বিক্ষোভ সম্পর্কিত অনুসন্ধানগুলো একটি ফাঁকা ফলাফল নিয়ে আসবে, তবে সরকার এখন অনুসন্ধানে "সাবধানে নির্বাচিত" ফলাফল আসতে সক্ষম করেছে। তবে এটি সর্বদা একটি সফল কৌশল নয় কারণ এটি এখনও একটি অনুসন্ধানের ফলে "প্রাসঙ্গিক আইন, প্রবিধান এবং নীতি" অনুসন্ধানের সাথে সম্পর্কিত ফলাফলগুলো প্রদর্শন করতে বাধা দেয় বলে একটি বিবৃতি সহ একটি ফাঁকা পৃষ্ঠা হবে।
==== সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ====
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সাইটগুলোও চীনে ওয়েবের একটি সেন্সর করা দিক। ফেসবুক ও টুইটার সাইটটি সরকার বন্ধ করে দিয়েছে। এই সেন্সরশিপের পেছনে যুক্তি হচ্ছে সামাজিক এবং রাজনৈতিক ভাষ্য সংঘটিত হওয়া থেকে বিরত রাখা, এবং একই সাথে সক্রিয় কর্মীদের এই ধরনের ডোমেইনে অনলাইন সম্প্রদায় শুরু করা থেকে বিরত রাখা।
সরকার এবং প্রচার মাধ্যম মাইক্রোব্লগিং সেবা সিনা ওয়েইবো ব্যবহার করে চিন্তা বিতরণ এবং দুর্নীতি পর্যবেক্ষণের জন্য। এটি এমন একটি পরিষেবা যা ফেসবুক এবং টুইটারের অনুরূপ বলে মনে করা হয় এবং বর্তমানে চীনের প্রায় ৩০% ইন্টারনেট ব্যবহারকারী এটি ব্যবহার করে। এই পরিষেবাটি অবশ্য পর্যবেক্ষণও করা হয়, ৭০০ সিনা সেন্সর সামগ্রী তদারকি করে।
প্রথম সামাজিক নেটওয়ার্কিং সাইটগুলো কখন তৈরি করা হয়েছিল তা স্পষ্ট না হলেও গত দশক ধরে বেশ কয়েকটি সংস্থার আধিপত্য এই শিল্পকে নেতৃত্ব দিয়েছে। এটি ব্যবহারের মাত্রা এবং সাইটগুলোতে ব্যবহারকারীর সংখ্যার জন্য দায়ী করা যেতে পারে। প্রধান সামাজিক নেটওয়ার্কিং সাইটগুলোর মধ্যে রয়েছে ফেসবুক, টুইটার, টাম্বলার, ইনস্টাগ্রাম ইত্যাদি যাইহোক, এই বন্ধনীতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি এমন কিছু সম্ভবত তাদের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয়, ইউটিউব।
ইউটিউব দ্বারা সংগৃহীত তথ্যের স্তরের সাথে, একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করার সময়, এটি অবশ্যই স্পষ্ট যে রাজনৈতিক প্রভাবের বাইরে ওয়েবসাইটটি কে ব্যবহার করতে পারে এবং কে ব্যবহার করতে পারে না তা তাদের ন্যূনতম সীমাবদ্ধতা রয়েছে। যে সামগ্রীটি প্রকাশ করা যেতে পারে তা ইউটিউবের বিভিন্ন তথ্যের মাধ্যমে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আরও স্বচ্ছন্দ হয়ে উঠছে, এর একটি উদাহরণ হলো ১৮ টিরও বেশি অ্যাক্সেস স্তর তৈরি করা এবং সম্প্রতি ইউটিউব রেড নামে একটি অর্থ প্রদানের পরিষেবা প্রবর্তন করা।
ইউটিউব অনেকগুলো বিভিন্ন ঘরানার হোস্ট করে যা কমেডি থেকে শুরু করে সংগীত এবং কীভাবে এবং ব্লগিং পর্যন্ত রয়েছে। যাইহোক, সাইটে পৌঁছেছে এমন সামগ্রী এখনও উস্কানিমূলক এবং অত্যন্ত রক্ষণশীল। সাদাম হুসেনের মৃত্যু এমন একটি ভিডিও যা প্ল্যাটফর্মে থাকার জন্য ব্যাপকভাবে সমালোচিত হয়েছে এবং এটি সরিয়ে ফেলার আহ্বান জানানো হয়েছে, তবে ভিডিওটির সঠিক প্রকৃতিতে স্পষ্ট চিত্র নেই যা ব্যবহারকারীরা পরিচালনা করতে পারে না, ইউটিউব ভিডিওটিকে তাদের থাকার অনুমতি দিয়েছে।
ইউটিউব ১৩-১৯ জনসংখ্যার মধ্যে খুব জনপ্রিয় এবং মূলত ভিডিও ব্লগিংয়ের প্রবর্তনের কারণে, ইন্টারনেট ব্যক্তিত্ব তাদের জীবন এবং চিন্তাভাবনা বিশ্বের সাথে ভাগ করে নেয় এবং ইউটিউবে আপলোড করে, এই ধরণের ভিডিওগুলো তরুণ শ্রোতাদের মধ্যে অনুসরণীয় একটি কাল্ট রয়েছে আংশিকভাবে অনুরূপ বাস্তব জীবনের সমস্যাগুলোর সাথে সম্পর্কিত হওয়ার দক্ষতার কারণে। তবে ব্যক্তিত্বের কিছু লোকের জন্য এটি একটি খুব কঠিন অবস্থান কারণ তাদের চিন্তাভাবনা এবং বৈশিষ্ট্যগুলো বিশ্বের বাকি অংশের কাছে উপলব্ধ, পাশাপাশি ব্যবহারকারীরা যারা তাদের সাবস্ক্রাইব করে, তারা অনুভব করতে পারে যে তারা তাদের জীবনের একটি অংশ যা একসময় আপাতদৃষ্টিতে অস্তিত্বহীন ছিল!
ইউটিউব স্পষ্টতই নির্দিষ্ট লোকের মধ্যে একটি খুব জনপ্রিয় সাইট এবং সর্বাধিক জনপ্রিয় ওয়েবসাইটগুলোতে খুব বেশি অনুসরণ এবং ব্যবহার রয়েছে, তবে এটির সীমাবদ্ধতা রয়েছে এবং এটির সীমানাও রয়েছে যা এটি মেনে চলতে ইচ্ছুক, তবে ইউটিউবের নিয়ন্ত্রণের বাইরে একটি জিনিস হলো পুরো শ্রোতাদের কাছে সামগ্রী সেন্সরশিপ করার ক্ষমতা কারণ তারা নিজেরাই এই ফ্রন্টে সীমাবদ্ধ, উত্তর কোরিয়ার মতো দেশের বিপরীতে!
=== উত্তর কোরিয়ায় প্রবেশাধিকার ===
উত্তর কোরিয়ায় ইন্টারনেট অ্যাক্সেস তাদের সরকার কর্তৃক কঠোরভাবে সেন্সর করা এবং পর্যবেক্ষণ করা হয়। নাগরিকরা কেবল অবসর সময়ে ইন্টারনেট ব্রাউজ করতে অক্ষম নয়, তারা বিশ্বজুড়ে তাৎক্ষণিক সংবাদ বা আপডেটগুলিও পান না। এর অর্থ হল পশ্চিমাদের তুলনায় তাদের তথ্যের অ্যাক্সেস অনেক সীমিত, এবং তারা অনলাইনে যে কোনও তথ্য খুঁজে পায় তা সরকার দ্বারা সাবধানতার সাথে ফিল্টার করা হয়েছে।
ইন্টারনেট এমন একটি জিনিস যা পশ্চিমা সমাজের লোকেরা হালকাভাবে নেয়, তবে উত্তর কোরিয়ায় এটিকে বিলাসিতা হিসাবে দেখা হয়। তাদের ইন্টারনেটের সংস্করণ - কোয়াংমিয়ং - একটি সীমিত এবং সেন্সর করা নেটওয়ার্ক যা সমগ্র জনসাধারণের জন্য উপলব্ধ নয় এবং ১০০০ থেকে ৫৫০০ ওয়েবসাইটের মধ্যে অ্যাক্সেসের অনুমতি দেয়; ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবে উপলব্ধ ১ বিলিয়ন ওয়েবসাইটের তুলনায় এটি একটি নগণ্য পরিমাণ। এই ওয়েবসাইটগুলি ব্যবহারকারীদের তাদের ইমেল চেক করতে, জাতীয় সংবাদের সাথে যোগাযোগ রাখতে এবং কিছুটা ব্রাউজ করার অনুমতি দেয়।<ref>[http://www.telegraph.co.uk/technology/11309882/Internet-in-North-Korea-everything-you-need-to-know.html The Telegraph: Internet in North Korea: everything you need to know]</ref>
২০১৪ সালে উত্তর কোরিয়া সারা দেশে ওয়াইফাই নিষিদ্ধ করার পরে ইন্টারনেট অ্যাক্সেস করার উপায় খুঁজে পাওয়া অনেক কঠিন হয়ে পড়েছিল। <ref>[http://www.northkoreatech.org/2014/09/09/north-korea-bans-wifi-at-embassies/ NorthKoreaTech: North Korea bans WiFi at embassies]</ref>উত্তর কোরিয়া জুড়ে বেশ কয়েকটি বিদেশী দূতাবাস তাদের ইন্টারনেট সংযোগ পাসওয়ার্ড সুরক্ষিত করার সরকারের ইচ্ছা উপেক্ষা করার পর দ্রুত এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। নাগরিকরা আবিষ্কার করেছেন যে তারা এই অরক্ষিত ওয়াইফাই ব্যবহার করে অনলাইনে নিষিদ্ধ বিষয়বস্তু অ্যাক্সেস করতে পারেন, এবং অনেকে এমনকি সংযোগের কাছাকাছি থাকার জন্য বাড়ি স্থানান্তরিত করেছেন।
অনুমান করা হয় যে উত্তর কোরিয়ায় বসবাসকারী আড়াই কোটি মানুষের মধ্যে মাত্র কয়েক হাজারেরই ইন্টারনেট অ্যাক্সেস রয়েছে। ওয়াইফাই অ্যাক্সেস পাওয়া কঠিন হলেও সরকারি অনুমতি পেলে এখনও এটি ব্যবহার করা যায়। রাজনীতিবিদ এবং সাইবার যুদ্ধ ইউনিটের মতো মুষ্টিমেয় লোকদের কোনও বিধিনিষেধ ছাড়াই পুরো ইন্টারনেট অ্যাক্সেসের অনুমতি দেওয়া হয়।
অনেক সাংবাদিক প্রতিদিন উত্তর কোরিয়া জুড়ে তথ্য প্রচারের জন্য তাদের জীবনের ঝুঁকি নেন। চীন ভিত্তিক মধ্যস্থতাকারীদের সহায়তায়, অতীতে উত্তর কোরিয়ার শরণার্থীদের দ্বারা পরিচালিত বেশ কয়েকটি গোপন রেডিও স্টেশন স্থাপন করা হয়েছে যা অন্যান্য দেশ থেকে আসা তথ্য ছড়িয়ে দেওয়ার পাশাপাশি বহির্বিশ্বের সাথে যোগাযোগের প্রচেষ্টায় ব্যবহৃত হয়েছে। তবে এই ধরণের কার্যক্রম অবিশ্বাস্যরকম বিপজ্জনক এবং দৈনন্দিন জীবনের প্রায় প্রতিটি দিকের উপর শাসনব্যবস্থার নিয়ন্ত্রণের অর্থ হল যখন তথ্য প্রবেশ করে, তখন এর প্রভাব কেবল কয়েকজনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে যারা এটি অ্যাক্সেস করতে সক্ষম হয়, এবং মুখের মাধ্যমেও। প্রতিবেশী দেশগুলিতে কর্মরত সাংবাদিকদের অবশ্যই অবিশ্বাস্যভাবে সতর্ক থাকতে হবে, কারণ তারা তথ্য পাচার করে অভ্যন্তরীণ ব্যক্তিদের জীবনের ঝুঁকি নিচ্ছে। নাগরিক সাংবাদিক হিসেবে ধরা পড়ার শাস্তি ঘটনাস্থলে মৃত্যুদণ্ডের মতোই কঠোর হতে পারে।<ref>[https://en.rsf.org/IMG/pdf/rsf_north-korea_2011.pdf North Korea: Frontiers of Censorship (2011)]</ref>
উত্তর কোরিয়ায় তথ্য নিয়ন্ত্রণ শাসনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ রোধ করার অন্যতম কারণ। কিম জং উনের পক্ষে দেশকে ঐক্যবদ্ধ করতে এবং বহির্বিশ্বের প্রতি অসন্তুষ্টি জাগানোর জন্য রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমকে প্রচারের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করা হয়, বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতি। উত্তর কোরিয়া বিশ্বের একমাত্র সর্বগ্রাসী শাসনব্যবস্থা। অন্য কোনও সরকার তার জনসংখ্যার উপর এত কঠোর নিয়ন্ত্রণ রাখতে সক্ষম হয়নি, তবে সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে যে এটি পরিবর্তন হতে পারে, কারণ তরুণ প্রজন্মের নাগরিকরা অসন্তুষ্ট এবং রাষ্ট্রের বাইরের জীবন সম্পর্কে আরও সচেতন হয়ে উঠছে। প্রতিবেশী দেশগুলি থেকে তথ্য পাচার এই প্রক্রিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যদিও এর ঝুঁকি রয়েছে।<ref>[http://www.theguardian.com/world/2014/apr/22/north-koreans-turning-against-the-regime The Guardian: North Korea: the new generation losing faith in the regime]</ref>
== শব্দকোষ ==
==== ব্রডব্যান্ড ====
টেলিযোগাযোগের ক্ষেত্রে ব্রডব্যান্ড হল একটি বিস্তৃত ব্যান্ডউইথ ডেটা ট্রান্সমিশন যা একাধিক সংকেত এবং ট্র্যাফিক ধরণের পরিবহনের ক্ষমতা রাখে।<ref>[http://searchtelecom.techtarget.com/definition/broadband] Broadband Definition</ref> তবে ইন্টারনেট অ্যাক্সেসের প্রেক্ষাপটে ব্রডব্যান্ডকে আরও উদারভাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে। যেকোনো উচ্চ-গতির ইন্টারনেট অ্যাক্সেস হিসাবে এটি পুরোনো ডায়াল-আপ পদ্ধতির চেয়ে দ্রুত। ব্রডব্যান্ড এমন একটি ইন্টারনেট অ্যাক্সেসকেও বোঝায় যা সর্বদা চালু এবং ব্যবহারের জন্য উপলব্ধ থাকে। <ref>[https://www.fcc.gov/general/types-broadband-connections] Broadband Definition.</ref>
==== সহযোগিতা ====
সহযোগিতা হলো একটি প্রকল্পে একসাথে কাজ করা একদল লোকের কাজ। সহযোগিতার অনেক রূপ রয়েছে। কিছু ব্যবহারকারী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সহযোগিতা করেন। একে সহযোগী মাধ্যম বলা হয়। এটি এমন একটি সহজ যোগাযোগের ধরণ যখন ব্যবহারকারীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বার্তা এবং বিষয়বস্তু দিয়ে সহযোগিতা করেন। উদাহরণস্বরূপ 'শেয়ারিং, মন্তব্য করা'। ফেসবুক এবং টুইটারের মতো সাইটগুলিকে সহযোগী মাধ্যম বলা হয়। এটি অ-পেশাদারদের দ্বারা করা হয় এবং ডিজিটাল আকারে করা হয়। এটি কর্মের দিকে পরিচালিত হয় এবং এভাবেই সহযোগিতা আসে। মানুষের মতামত প্রকাশ করা যেতে পারে এবং মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করা যেতে পারে।
==== যৌথ বুদ্ধিমত্তা ====
যৌথ বুদ্ধিমত্তা শব্দটি ফরাসি দার্শনিক পিয়েরে লেভির তৈরি। তাঁর দৃষ্টিতে তিনি প্রথমে বুদ্ধিমত্তাকে একটি সম্পদ হিসেবে দেখেছিলেন। যদিও এটি কখনও কখনও সেই অনুযায়ী ব্যবহার করা যেতে পারে, তবে সাধারণত এটি নষ্ট হয়ে যায়। তাঁর যুক্তি হল যে পুরানো ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি, বেকারত্ব এবং ভাগ করা চাকরির প্রোফাইলের মতো পরিস্থিতিগুলি দেখে বুদ্ধিমত্তা নষ্ট হচ্ছে। যেমনটি বলা হয়েছে, "কেউ সবকিছু জানে না, সবাই কিছু না কিছু জানে, সমস্ত জ্ঞান মানবতার মধ্যেই থাকে। জ্ঞানের কোনও অতীন্দ্রিয় ভাণ্ডার নেই এবং জ্ঞান কেবল আমরা যা জানি তার সমষ্টি।" লেভি ভেবেছিলেন যে পৃথক প্রকল্পগুলিকে একটি গোষ্ঠী মনোবিজ্ঞানের অধীনে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি চেয়েছিলেন যে ব্যক্তিরা বুঝতে পারুক যে তাদের কর্মগুলি কীভাবে অন্যদের সাথে একীভূত হবে, যাতে যৌথ বুদ্ধিমত্তা তৈরি হয়।
==== কপিরাইট ====
কপিরাইট এমন একটি শব্দ যার অর্থ বৌদ্ধিক সম্পত্তির উপর আইনি সুরক্ষা প্রদান করা। এটি এমন একটি আইন যা কাজটিকে "লেখকের জন্য একচেটিয়া প্রকাশনা, বিতরণ এবং ব্যবহারের অধিকার প্রদানকারী বৌদ্ধিক সম্পত্তি" করে তোলে।<ref name="Techterms.com">[http://techterms.com/definition/copyright Techterms.com], Copyright Information.</ref> এর অর্থ হল কপিরাইটের অধীনে থাকা বস্তুটি কপিরাইটের মূল মালিকের অনুমতি বা অর্থ প্রদান ছাড়া বিতরণ বা পুনঃনির্মাণ করা যাবে না। এটি তথ্যে অ্যাক্সেস সীমিত করে কিন্তু স্রষ্টাদের সুরক্ষা দেয়।
==== ইন্টারনেট সেন্সরশিপ ====
ইন্টারনেট সেন্সরশিপ হলো উপাদানের নিয়ন্ত্রণ বা দমন, যা ইন্টারনেটে অ্যাক্সেস, প্রকাশ বা দেখা যায়। এটি সরকারী পদক্ষেপ বা আইনের ফলে করা যেতে পারে। এটি সরকারী পদক্ষেপ বা আইনের ফলে করা যেতে পারে।
==== মোড ২ টাইপ জ্ঞান ====
দ্বিতীয় ধাপের জ্ঞানকে বিষয়গুলির প্রতি একটি ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি হিসেবে দেখা হয়। এটি প্রচলিত পদ্ধতির পরিবর্তে সহজ পদ্ধতিতে শর্টকাটে কিছু করতে সক্ষম। সাধারণত ছোট দলে করা হয়, এই ধরণের জ্ঞান আরও নমনীয়তা প্রদান করে। এই ধরণের জ্ঞানের মধ্যে সাধারণত মূল তথ্য ভেঙে ফেলা এবং ভিন্নভাবে দেখা জড়িত।
==== গুগলাইজেশন ====
শিব বৈদ্যনাথন গুগলাইজেশন বলতে বোঝাতে চেয়েছেন সেই প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে গুগল ক্রমবর্ধমানভাবে আমাদের সংস্কৃতির সমস্ত ক্ষেত্রকে প্রভাবিত করে। এটি ঘটে কারণ প্রথমত, গুগল ইউটিউব এবং জিমেইলের মতো আরও অনেক প্রোগ্রামের মালিক এবং দ্বিতীয়ত, কারণ বেশিরভাগ ইন্টারনেট অনুসন্ধান গুগলের মাধ্যমে করা হয়, এটি প্রচুর তথ্যের মধ্যস্থতা করার অনুমতি দেয়।
==== হ্যাকিং ====
হ্যাকিং হলো আইটি সিস্টেমে (অবৈধ) প্রবেশাধিকার অর্জনের চেষ্টা করা বা সফল হওয়ার একটি প্রক্রিয়া। এটি সাইবারস্পেসে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর হুমকিগুলির মধ্যে একটি হিসাবে বিবেচিত হয়। তবুও, হ্যাকিং নিজেই একটি বিস্তৃত শব্দ যার মধ্যে বিভিন্ন শাখা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, যেমন পরিষেবা অস্বীকার করা, অননুমোদিত অ্যাক্সেস, সিস্টেম অনুপ্রবেশ, ওয়্যারলেস নেটওয়ার্কের অপব্যবহার, বা ওয়েবসাইট বিকৃত করা। বর্তমানে বিভিন্ন সরঞ্জাম উপলব্ধ রয়েছে যা এমনকি অনভিজ্ঞ ব্যবহারকারীদের নির্দিষ্ট প্রক্রিয়াগুলি স্বয়ংক্রিয় করতে এবং ছোটখাটো আক্রমণ শুরু করতে সক্ষম করে।
==== হ্যাকার সংস্কৃতি ====
প্রাথমিক ইন্টারনেটের উত্থানের সাথে সাথে হ্যাকার সংস্কৃতি একটি উপ-সংস্কৃতি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। প্রথমে তথ্যের স্বাধীনতার ইতিবাচক মূল্যবোধ এবং কারও প্রযুক্তিগত দক্ষতার প্রদর্শনের কথা উল্লেখ করা হয়েছিল (বিস্তারিত জানার জন্য দ্য হ্যাকার এথিক দেখুন), এখন এটি সাধারণত অনুপ্রবেশ এবং ব্যাঘাতের নেতিবাচক ধারণার সাথে যুক্ত। হ্যাকারদের তাদের উদ্দেশ্যের পরিপ্রেক্ষিতে উল্লেখ করা যেতে পারে. যেমন "ব্ল্যাক হ্যাট" খারাপ ব্যবহারকারীদের জন্য, "হোয়াইট হ্যাট" তাদের দক্ষতা সিস্টেম সরবরাহকারীর সুবিধার জন্য ব্যবহার করে এবং "গ্রে হ্যাট" যারা সন্দেহজনক উদ্দেশ্য নিয়ে হ্যাক করে। কিছু হ্যাকার যেমন অ্যানোনিমাস গ্রুপ তাদের আক্রমণকে নৈতিক এবং/অথবা রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে রক্ষা করে।
==== নেট নিউট্রালিটি ====
নেট নিরপেক্ষতা হলো এমন একটি ধারণা যার মাধ্যমে সকল পরিষেবা প্রদানকারীর ডেটা একইভাবে ব্যবহার করা উচিত এবং নির্দিষ্ট কন্টেন্টের জন্য সমস্ত প্রক্রিয়াকরণ এবং স্থানান্তরের গতি একই হওয়া উচিত। সমস্ত ডেটা একইভাবে বিবেচনা করা উচিত যাতে সমস্ত ডেটার স্থানান্তর গতি একই থাকে, যার অর্থ হল এক টুকরো ডেটা অন্যটির উপরে অগ্রাধিকার দেওয়া যাবে না। এর ফলে, ইন্টারনেট পরিষেবা প্রদানকারীরা [ISP গুলি] ব্যবহারকারী অনলাইনে কী পোস্ট করছেন এবং কীভাবে সেই সামগ্রী অন্যদের কাছে স্থানান্তর করা হচ্ছে সে বিষয়ে বৈষম্যমূলক অ্যাক্সেস রাখতে পারবেন না। এটি ইন্টারনেটে ডেটা প্রবাহকে সুরক্ষিত করে।
==== অংশগ্রহণমূলক সাংবাদিকতা ====
অংশগ্রহণমূলক সাংবাদিকতা, অথবা নাগরিক সাংবাদিকতা হলো সাংবাদিকতার একটি ধরণ যেখানে সমস্ত বিষয়বস্তু স্বাধীন মিডিয়া আউটলেট, নাগরিক বা ফ্রিল্যান্স সাংবাদিকদের দ্বারা সংগ্রহ করা হয়। এই বিষয়বস্তুটি তখন মূলধারার মিডিয়া দ্বারা প্রাপ্ত হয় এবং ব্যবহারে রাখা হয়। এই অনলাইন সমাজে নাগরিকরা প্রতিনিয়ত কত কিছু প্রকাশ করছে, শেয়ার করছে, বিতর্ক করছে, চ্যাট করছে, ব্লগিং করছে এবং টুইট করছে তা বিবেচনা করে এই দিন এবং যুগে এই ধরণের সাংবাদিকতা খুব বাস্তববাদী।
==== ইউজিসি ====
ব্যবহারকারী-উত্পাদিত সামগ্রী (User Generated Content - ইউজিসি) এমন কোনও ডিজিটাল সামগ্রীকে বোঝায় যা কোনও অনলাইন পরিষেবা বা ওয়েবসাইটের শেষ ব্যবহারকারীদের দ্বারা উত্পাদিত এবং শেয়ার করা হয়। এর মধ্যে এমন কোনও সামগ্রী অন্তর্ভুক্ত রয়েছে যা ব্যবহারকারীদের দ্বারা করা বা উত্পাদিত হয় যা পরিষেবাটির সদস্য বা গ্রাহক, তবে এটি ওয়েবসাইট বা পরিষেবা নিজেই উত্পাদিত হয় না। ইউজিসির ফর্মগুলো হলো টুইট, ব্লগ, বিজ্ঞাপন, মন্তব্য, আপডেট, ভিডিও, ছবি।
==== ওয়েব ২.০ ====
ওয়েব ২.০ শব্দটি এমন একটি ওয়েবসাইটকে বোঝাতে ব্যবহৃত হয় যা ব্যবহারকারী-উত্পাদিত সামগ্রী তুলে ধরে। এই ওয়েবসাইটগুলিতে জ্ঞান বা ডেটা বাইরের কর্তৃপক্ষ তথা ওয়েবসাইটটি পরিচালনাকারী বা বট দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় না, বরং এর নিজস্ব ব্যবহারকারীদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। ওয়েব ২.০ এর মূল ধারণা হল এর সহ-সৃজনশীলতা, অংশগ্রহণ এবং উন্মুক্ততা যা এটি ব্যবহারকারীদের অনুমতি দেয়। ওয়েব ১.০ এবং ওয়েব ২.০ এর মধ্যে পার্থক্য হলো এর সফটওয়্যার এর ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে এই সৃজনশীলতা অর্জনের সুযোগ দেয়। উদাহরণস্বরূপ; জ্ঞান তৈরি এবং অ্যাক্সেস করার উইকি ভিত্তিক উপায়, সামাজিক নেটওয়ার্কিং সাইট, ব্লগিং, ট্যাগিং এবং 'ম্যাশ আপ'।
==== হুইসেল-ব্লোয়িং ====
আইনি পরিভাষায়, হুইসেল-ব্লোয়িং হলো যখন কোনও ব্যক্তি কোনও কোম্পানি বা সরকারি সংস্থার উপর এমন তথ্য প্রকাশ করে যা জনস্বার্থে গুরুত্বপূর্ণ। যেমন যখন কোনও সংস্থা কোনও অপরাধ বা অন্য কোনও ধরণের অপকর্ম করেছে যা জনসাধারণকে প্রভাবিত করছে।
== তথ্যসূত্র ==
{{সূত্র তালিকা}}
== তথ্যসূত্র ==
* আমেরিকান সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়ন এবং অন্যান্য বনাম আলবার্টো আর. গনজালেস, যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে তাঁর দায়িত্বপূর্ণ অবস্থানে (২০০৭)।
* অজ্ঞাত। (তারিখবিহীন) [http://www.searchenginehistory.com/ "সার্চ ইঞ্জিনের ইতিহাস: ১৯৪৫ থেকে আজকের গুগল পর্যন্ত" (History Of Search Engines: From ১৯৪৫ To Google Today)]। ৬ মার্চ ২০১৬-এ অ্যাক্সেস করা হয়েছে।
* অ্যান্ডারসন, এ। (২০১৫) [http://www.telegraph.co.uk/finance/newsbysector/mediatechnologyandtelecoms/digital-media/11597743/Teenagers-spend-27-hours-a-week-online-how-internet-use-has-ballooned-in-the-last-decade.html কিশোর-কিশোরীরা সপ্তাহে ২৭ ঘণ্টা অনলাইনে কাটায়: গত দশকে ইন্টারনেট ব্যবহার কীভাবে বেড়েছে (Teenagers spend ২৭ hours a week online: how internet use has ballooned in the last decade)]। ১১/০৩/২০১৬-এ অ্যাক্সেস করা হয়েছে।
* আথিক, এ। (২০১৩)। ''ডিজিটাল মিডিয়া এবং সমাজ: একটি পরিচিতি'' (Digital Media and Society: an Introduction)। পলিটি প্রেস, কেমব্রিজ, যুক্তরাজ্য। {{ISBN|9780745662282}}
* বানিসার, ডি। এবং ফানুচি, এফ। (২০১৩)। উইকিলিকস, গোপনীয়তা, এবং তথ্যের স্বাধীনতা: যুক্তরাজ্যের ক্ষেত্রে। ''উইকিলিকসের বাইরে: যোগাযোগ, সাংবাদিকতা এবং সমাজের ভবিষ্যতের জন্য প্রভাব'' (Beyond Wikileaks: Implications for the Future of Communications, Journalism and Society)। (পৃ. ১৭৮-১৯০)। বেসিংস্টোক, পালগ্রেভ ম্যাকমিলান।
* বড্রিলার্ড, জঁ। (২০১৬) জনগণ: মিডিয়ায় সামাজিক বিস্ফোরণ ''নিউ মিডিয়া, ওল্ড মিডিয়া: একটি ইতিহাস এবং তত্ত্ব রিডার (দ্বিতীয় সংস্করণ)'' (New Media, Old Media: A History and Theory Reader)। (সম্পাদক), ওয়েন্ডি হুই কিয়ং চুন, আনা ওয়াটকিন্স ফিশার, এবং থমাস ডব্লিউ. কিনান। রাউটলেজ টেলর অ্যান্ড ফ্রান্সিস গ্রুপ: নিউ ইয়র্ক এবং লন্ডন।
* বিবিসি (২০১৫)। [http://www.bbc.co.uk/news/business-34743185 টকটক হ্যাক '১৫৭,০০০ গ্রাহককে প্রভাবিত করেছে' (TalkTalk hack 'affected ১৫৭,০০০ customers')] বিবিসি অনলাইন, ৬ নভেম্বর ২০১৫। ১১/০৩/২০১৬-এ অ্যাক্সেস করা হয়েছে।
* বিবিসি (২০১৪)। [http://www.bbc.co.uk/news/entertainment-arts-30512032 দি ইন্টারভিউ: হলিউডে সাইবার আক্রমণের একটি গাইড (The Interview: A guide to the cyber attack on Hollywood')] বিবিসি অনলাইন, ২৯ ডিসেম্বর ২০১৪। ১১/০৩/২০১৬-এ অ্যাক্সেস করা হয়েছে।
* বিবিসি (২০১৫)। স্ব-ক্ষতির সাথে ইন্টারনেটের 'সরাসরি সম্পর্ক'। বিবিসি ওয়েলস, ১৫ মার্চ। ১১/০৩/২০১৬-এ অ্যাক্সেস করা হয়েছে।
* বিবিসি (২০১৩)। [http://www.bbc.co.uk/consumer/22342924 পরিচয় চুরি প্রতিরোধের উপায় (How To Prevent Identity Theft)] বিবিসি অনলাইন। ১০/০৩/২০১৬-এ অ্যাক্সেস করা হয়েছে।
* বিবিসি বাইটসাইজ (তারিখবিহীন) [http://www.bbc.co.uk/guides/ztbjq6f "সার্চ ইঞ্জিন কীভাবে কাজ করে?" (How Do Search Engines Work?)]। ৬ মার্চ ২০১৬-এ অ্যাক্সেস করা হয়েছে।
* বেনক্লার, ওয়াই। নেটওয়ার্কের সম্পদ (The Wealth of Networks)। নিউ হ্যাভেন: ইয়েল ইউনিভার্সিটি প্রেস (২০০৬), পৃ. ৩৮৪–৩৮৫।
* বার্কম্যান সেন্টার ফর ইন্টারনেট অ্যান্ড সোসাইটি (২০০৩)। চীনে ইন্টারনেট ফিল্টারিংয়ের পরীক্ষামূলক বিশ্লেষণ। আইইইই ইন্টারনেট কম্পিউটিং (মার্চ/এপ্রিল ২০০৩), হার্ভার্ড ল স্কুল (Cyber.law.harvard.edu)।
* বয়েড, ডি। (২০১২)। সর্বদা-সংযুক্ত জীবনযাপনে অংশগ্রহণ। ম্যান্ডিবার্গ, এম। (সম্পাদক) ''দি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম রিডার'' (The Social Media Reader)। নিউ ইয়র্ক এবং লন্ডন: নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটি প্রেস।
* ব্রডব্যান্ড কমিশন (২০১৫)। [http://www.broadbandcommission.org/Documents/publications/bb-annualreport2015-highlights.pdf ব্রডব্যান্ডের অবস্থা ২০১৫: টেকসই উন্নয়নের ভিত্তি হিসেবে ব্রডব্যান্ড (The State of Broadband ২০১৫: Broadband as a Foundation for Sustainable Development)] [রিপোর্ট হাইলাইটস]। ২১ সেপ্টেম্বর। ৭ মার্চ ২০১৬-এ অ্যাক্সেস করা হয়েছে।
* বারবিউলস, নিকোলাস সি। "ওয়েবের প্যারাডক্স: বিশ্বাসযোগ্যতার নৈতিক মাত্রা"। Ideals.Illinois.edu। প্রিন্ট।
* বিজনেস ইনসাইডার। (২০১৩)। [http://www.businessinsider.com/chinas-new-form-of-internet-censorship-replaces-controversial-topics-with-fluff-2013-6?IR=T চীন একটি নতুন ধরনের ইন্টারনেট সেন্সরশিপ নিয়ে পরীক্ষা করছে (China is experimenting with A new form of internet censorship)]। ১১/০৩/২০১৬-এ অ্যাক্সেস করা হয়েছে।
* কার্স্টেন, পি। (২০১৫)। [http://uk.reuters.com/article/us-china-internet-idUSKBN0L713L20150203 চীনের ইন্টারনেট জনসংখ্যা ৬৪৯ মিলিয়নে পৌঁছেছে, ৮৬ শতাংশ ফোনে (China's internet population hits ৬৪৯ million, ৮৬ percent on phones)]। ১১/০৩/২০১৬-এ অ্যাক্সেস করা হয়েছে।
* চেশায়ার, টি। (২০১৪)। [http://news.sky.com/story/1271004/online-abuse-police-deal-with-thousands-of-kids অনলাইন অপব্যবহার: পুলিশ হাজার হাজার শিশুর সাথে মোকাবিলা করে (Online Abuse: Police Deal With Thousands Of Kids)]। স্কাই নিউজ, ২৯ মে। ১১/০৩/২০১৬-এ অ্যাক্সেস করা হয়েছে।
* শিশুদের ইন্টারনেট সুরক্ষা আইন (CIPA), ১৫ ইউ.এস.সি. §§ ৬৫০১–৬৫০৬ ইউ.এস.সি. (২০০০)।
* চীন এবং ইন্টারনেট (২০১০)। [https://en.greatfire.org/blog/2013/jan/china-github-and-man-middle চীন, গিটহাব এবং ম্যান-ইন-দ্য-মিডল (China, GitHub and the man-in-the-middle)]। ইন্টারন্যাশনাল ডিবেটস, ১৫৪২০৩৪৫, এপ্রিল ২০১০, খণ্ড ৮, সংখ্যা ৪। ১১/০৩/২০১৬-এ অ্যাক্সেস করা হয়েছে।
* চীনা সরকারের অফিসিয়াল ওয়েব পোর্টাল। [http://english.gov.cn/2010-06/08/content_1622956_7.html চীনে ইন্টারনেট (The Internet in China)]।
* কোলম্যান, জি। (২০১৩)। অ্যানোনিমাস এবং ফাঁসের রাজনীতি। ব্রেভিনি, বি., হিন্টজ, এ., এবং ম্যাককার্ডি, পি। (সম্পাদক) ''উইকিলিকসের বাইরে: যোগাযোগ, সাংবাদিকতা এবং সমাজের ভবিষ্যতের জন্য প্রভাব'' (Beyond Wikileaks: Implications of the Future of Communications, Journalism and Society)। (পৃ. ২০৯–২২৮) বেসিংস্টোক, পালগ্রেভ ম্যাকমিলান।
* কমস্কোর, ইনক। (২০১৬)। [https://www.comscore.com/Insights/Press-Releases/2014/4/comScore-Releases-March-2014-U.S.-Search-Engine-Rankings কমস্কোর মার্চ ২০১৪ মার্কিন সার্চ ইঞ্জিন র্যাঙ্কিং প্রকাশ করেছে (Comscore Releases March ২০১৪ U.S. Search Engine Rankings)]। ৪ মার্চ ২০১৬-এ অ্যাক্সেস করা হয়েছে।
* কারান, জে। (২০১০)। ইন্টারনেট ইতিহাস পুনর্বিবেচনা। জুয়েকস, ওয়াই. এবং ইয়ার, এম। (সম্পাদক), ''ইন্টারনেট অপরাধের হ্যান্ডবুক'' (Handbook of Internet Crime) (পৃ. ১৭–৩৭)। লন্ডন: উইলান।
* সাইবারস্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অফ চায়না। (২০১৫)। [http://www.cac.gov.cn/2015-02/03/c_1114237273.html সিএনএনআইসি ৩৫তম "চীনে ইন্টারনেট উন্নয়নের পরিসংখ্যান রিপোর্ট" প্রকাশ করেছে (CNNIC published the ৩৫th "statistical report on internet development in China)]।
* ডেভিস, ডি., জোন্স, ডি., এবং র্যাটক্লিফ, সি। (২০১৩)। "প্রধান সার্চ ইঞ্জিন এবং ডিরেক্টরি | সার্চ ইঞ্জিন ওয়াচ" (Major Search Engines And Directories | Search Engine Watch)। Searchenginewatch.com। ৬ মার্চ ২০১৬-এ অ্যাক্সেস করা হয়েছে।
* ডিবার্ট, আর। এবং রোহোজিনস্কি, আর। (২০১০) অস্বীকারের বাইরে-পরবর্তী প্রজন্মের তথ্য অ্যাক্সেস নিয়ন্ত্রণ প্রবর্তন। ডিবার্ট, আর., পালফ্রে, জে., রোহোজিনস্কি, আর। এবং জিট্রেইন, জে। (সম্পাদক) "অ্যাক্সেস কন্ট্রোল্ড: সাইবারস্পেসে ক্ষমতা, অধিকার এবং নিয়মের গঠন" (Access Controlled: the shaping of power, rights and rule in cyberspace) (পৃ. ৩–১৩) ম্যাসাচুসেটস: এমআইটি প্রেস।
* ডিবার্ট, আর। এবং রোহোজিনস্কি, আর। (২০১২) সাইবারস্পেসের প্রতিদ্বন্দ্বিতা এবং কর্তৃত্বের আসন্ন সংকট। ডিবার্ট, আর., পালফ্রে, জে., রোহোজিনস্কি, আর। এবং জিট্রেইন, জে। (সম্পাদক) "অ্যাক্সেস কনটেস্টেড: এশিয়ান সাইবারস্পেসে নিরাপত্তা, পরিচয়, এবং প্রতিরোধ" (Access Contested: Security, Identity, and Resistance in Asian Cyberspace) (পৃ. ২১–৪৩) ম্যাসাচুসেটস: এমআইটি প্রেস।
* ইবিএমবিএ (২০১৬) [http://www.ebizmba.com/articles/search-engines "সবচেয়ে জনপ্রিয় ১৫টি সার্চ ইঞ্জিন - মার্চ ২০১৬" (Top ১৫ Most Popular Search Engines - March ২০১৬)]। ৬ মার্চ ২০১৬-এ অ্যাক্সেস করা হয়েছে।
* এলসনার, মার্ক (২০১২)। "প্রবন্ধ I: শব্দ ছড়িয়ে দেওয়া – ব্যবহারকারী-উৎপন্ন কন্টেন্টের জনপ্রিয়তা নির্ধারণকারী উপাদানগুলোর মূল্যায়ন"। ''বিশ্বব্যাপী প্রতিযোগিতায় বিপণন - বিপণন ও বিশ্বব্যাপী প্রতিযোগিতা, খণ্ড ২: ওয়েব ২.০-এ তথ্য প্রচার: ব্যবহারকারী-উৎপন্ন কন্টেন্টের প্রচার এবং এটি সামাজিক নেটওয়ার্ক দ্বারা কীভাবে প্রভাবিত হয় তা নিয়ে দুটি প্রবন্ধ'' (Marketing im globalen Wettbewerb - Marketing & Global Competition, Volume ২: Information Propagation on the Web ২.০: Two Essays on the Propagation of User-Generated Content and How It Is Affected by Social Networks), পৃ. ১৫–৮৬। ৮ মার্চ ২০১৬-এ অ্যাক্সেস করা হয়েছে।
* এরিকসন, জে। (২০০৭)। ''হ্যাকিং: শোষণের শিল্প'' (Hacking: The Art of Exploitation) (দ্বিতীয় সংস্করণ)। সান ফ্রান্সিসকো: নো স্টার্চ প্রেস।
* ফাইল, টি., এবং রায়ান, সি। (২০১৪)। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট ব্যবহার: ২০১৩। ওয়াশিংটন, ডিসি: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জনগণনা ব্যুরো।
* ফুচস, ক্রিস্টিয়ান। ''সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম: একটি সমালোচনামূলক পরিচিতি'' (Social Media: A Critical Introduction)। সেজ পাবলিকেশনস, ২০১৪। প্রিন্ট।
* ফার্নেল, এস। (২০১০)। হ্যাকার, ভাইরাস এবং ক্ষতিকারক সফটওয়্যার। জুয়েকস, ওয়াই. এবং ইয়ার, এম। (সম্পাদক) ''ইন্টারনেট অপরাধের হ্যান্ডবুক'' (Handbook of Internet Crime)। (পৃ. ১৭৩–১৯৩)। লন্ডন: উইলান।
* জিওগেগান, টি। (২০১৩)। [http://www.bbc.co.uk/news/magazine-24528383 ম爆িংশনের কারণ কী? (Why is broadband more expensive in the US?)]। ১১/০৩/২০১৬-এ অ্যাক্সেস করা হয়েছে।
* গিডেন্স, এ। (১৯৯১)। আধুনিকতা এবং আত্ম-পরিচয়: দেরী আধুনিক যুগে আত্ম এবং সমাজ (Modernity and Self-identity: Self and Society in the Late Modern Age)। স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস। ১১/০৩/২০১৬-এ অ্যাক্সেস করা হয়েছে।
* গিবস, এস। (২০১৫)। [http://www.theguardian.com/technology/2015/mar/31/facebook-tracks-all-visitors-breaching-eu-law-report ফেসবুক সকল দর্শকদের ট্র্যাক করে, ইইউ আইন লঙ্ঘন করছে (Facebook 'tracks all visitors, breaching EU law')]।
* গিস, এল। (২০০৮)। ''আইন এবং মিডিয়া: একটি অস্থির সম্পর্কের ভবিষ্যত'' (Law and the Media: The Future of an Uneasy Relationship)। রাউটলেজ-ক্যাভেন্ডিশ: অ্যাবিংডন, অক্সন।
* গ্রিন, এল। (২০০৯)। ''যোগাযোগ, প্রযুক্তি এবং সমাজ'' (Communication, Technology and Society)। লন্ডন: সেজ পাবলিকেশনস।
* হঘনি, ক্রিস্টিন। স্টেলটার, ব্রায়ান। "দি আটলান্টিক সায়েন্টোলজি বিজ্ঞাপনের জন্য ক্ষমা চেয়েছে" (The Atlantic Apologizes For Scientology Ad)। মিডিয়া ডিকোডার: পর্দার পিছনে, লাইনের মধ্যে। এন.পি., ২০১৩। ওয়েব। ৮ মার্চ ২০১৬।
* হাফ, সি., এবং কুপার, জে। (১৯৮৭)। শিক্ষাগত সফটওয়্যারে লিঙ্গ পক্ষপাত: ডিজাইনারদের স্টেরিওটাইপের প্রভাব তাদের ডিজাইন করা সফটওয়্যারে (পৃ. ৩–৫)। ইউএসএ।
* ইন্টারনেট লাইভ স্ট্যাটস। (২০১৬)। তুরস্কের ইন্টারনেট ব্যবহারকারী। http://www.internetlivestats.com/internet-users/turkey/ থেকে সংগৃহীত।
* ইন্টারনেট ট্যাক্স ফ্রিডম অ্যাক্ট, ৪৭ ইউ.এস.সি. § ১৫১ ইউ.এস.সি. (১৯৯৮)।
* জোনসডটির, বি। (২০১৩)। ভূমিকা। ''উইকিলিকসের বাইরে: যোগাযোগ, সাংবাদিকতা এবং সমাজের ভবিষ্যতের জন্য প্রভাব'' (Beyond Wikileaks: Implications for the Future of Communications, Journalism and Society)। (পৃ. xi-xvii)। বেসিংস্টোক, পালগ্রেভ ম্যাকমিলান।
* কেনেডি, এইচ। (২০০৬)। বেনামীর বাইরে, বা ইন্টারনেট পরিচয় গবেষণার ভবিষ্যত দিকনির্দেশনা। ''নিউ মিডিয়া অ্যান্ড সোসাইটি'' (New Media and Society), খণ্ড ৮(৬), পৃ. ৮৫৯–৮৭৬।
* কাসাপোগলু, সি। (২০১৫)। তুরস্কের সামাজিক মাধ্যম নিষিদ্ধকরণ সেন্সরশিপের ভয় বাড়ায়। [http://www.bbc.co.uk/news/world-europe-32204177 http://www.bbc.co.uk/news/world-europe-৩২২০৪১৭৭] থেকে সংগৃহীত।
* লটন, টি। (২০১১)। [http://www.nanjingmarketinggroup.com/blog/rural-chinese-internet-usage-2011_10_27 চীনে গ্রামীণ ইন্টারনেট ব্যবহার – ইনফোগ্রাফিক এবং সাক্ষাৎকার (Rural internet usage in china – Infographic and Interview)]।
* লেইচটম্যান রিসার্চ গ্রুপ ইনক। (২০১৫)। [http://www.leichtmanresearch.com/press/111715release.html ২০১৫ সালের তৃতীয় ত্রৈমাসিকে প্রায় ৬৪৫,০০০ ব্রডব্যান্ড যোগ করেছে (About ৬৪৫,০০০ add broadband in the third quarter of ২০১৫)]। ১১/০৩/২০১৬-এ অ্যাক্সেস করা হয়েছে।
* লেভি, পিয়ের (১৯৯৭)। "সামূহিক বুদ্ধিমত্তা কী?", ''সামূহিক বুদ্ধিমত্তা: সাইবারস্পেসে মানবজাতির উদ্ভবমান বিশ্ব'' (Collective intelligence: mankind's emerging world in cyberspace), পৃ. ১৩–১৯। পার্সিয়াস বুকস, ইউএসএ। {{ISBN|0738202614}}।
* লিপটাক, এ। (২০০৮)। ঘড়ির তরঙ্গ, এবং বক্তৃতা অদৃশ্য হয়ে যায়। দি নিউ ইয়র্ক টাইমস।
* লিব, আর। (২০১৩)। [http://rebeccalieb.com/sites/default/files/downloads/1309%20Native%20Advertising%20RL.pdf নেটিভ বিজ্ঞাপনের সংজ্ঞায়ন এবং ম্যাপিং (Defining And Mapping The Native Advertising Landscape)]। ৮ মার্চ ২০১৬-এ অ্যাক্সেস করা হয়েছে।
* লিস্টার, এম., এট আল। (২০০৮)। নিউ মিডিয়া: একটি সমালোচনামূলক পরিচিতি। দ্বিতীয় সংস্করণ। লন্ডন: রাউটলেজ।
* লিস্টার, মার্টিন; ডোভি, জন; গিডিংস, সেথ (২০০৯)। "অধ্যায় ৩: নেটওয়ার্ক, ব্যবহারকারী এবং অর্থনীতি", ''নিউ মিডিয়া: একটি সমালোচনামূলক পরিচিতি'' (New Media: a Critical Introduction), পৃ. ১৬৩–২৩২। রাউটলেজ, অক্সন। {{ISBN|9780415431606}}।
* লোভিঙ্ক, জি। (২০১১)। ''কারণবিহীন নেটওয়ার্ক: সামাজিক মাধ্যমের একটি সমালোচনা'' (Networks Without a Cause: A Critique of Social Media)। কেমব্রিজ: পলিটি প্রেস।
* লোগ্রেন, জোনাস; রাইমার, বো (২০১৩)। "অধ্যায় ৩: নেটওয়ার্ক, ব্যবহারকারী এবং অর্থনীতি", ''সহযোগী মিডিয়া: উৎপাদন, ব্যবহার, এবং ডিজাইন হস্তক্ষেপ'' (Collaborative Media: Production, Consumption, and Design Interventions), পৃ. ১৬৩–২৩২। দি এমআইটি প্রেস, কেমব্রিজ, এমএ, ইউএসএ। ৮ মার্চ ২০১৬-এ অ্যাক্সেস করা হয়েছে।
* ম্যান্ডিবার্গ, মাইকেল (২০১২)। "অধ্যায় ৪: ওয়েব ২.০ কী", ''দি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম রিডার'' (The Social Media Reader), পৃ. ৩২–৫২। এনওয়াইইউ প্রেস, নিউ ইয়র্ক। {{ISBN|9780814763025 75}}।
* ম্যান্ডিবার্গ, মাইকেল (২০১২)। "অধ্যায় ৫: সহযোগিতা কী", ''দি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম রিডার'' (The Social Media Reader), পৃ. ৫৩–৭০। এনওয়াইইউ প্রেস, নিউ ইয়র্ক। {{ISBN|9780814763025 75}}।
* মারকুয়ান, আর। (২০০৬)। [http://www.csmonitor.com/2006/0224/p01s04-woap.html চীনের মিডিয়া সেন্সরশিপ বিশ্বের চিত্রকে কাঁপিয়ে দিচ্ছে (China's media censorship rattling world image)]।
* ম্যাককার্ডি, পি। (২০১৩)। পেন্টাগন পেপার থেকে কেবলগেট: নেটওয়ার্ক সমাজ কীভাবে ফাঁসকে পরিবর্তন করেছে। ''উইকিলিকসের বাইরে: যোগাযোগ, সাংবাদিকতা এবং সমাজের ভবিষ্যতের জন্য প্রভাব'' (Beyond Wikileaks: Implications for the Future of Communications, Journalism and Society)। (পৃ. ১২৩-১৪৫)। বেসিংস্টোক, পালগ্র েভ ম্যাকমিলান।
* ম্যাককার্ডি, পি., ব্রেভিনি, বি., হিন্টজ, এ। (২০১৩)। ভূমিকা। ''উইকিলিকসের বাইরে: যোগাযোগ, সাংবাদিকতা এবং সমাজের ভবিষ্যতের জন্য প্রভাব'' (Beyond Wikileaks: Implications for the Future of Communications, Journalism and Society)। (পৃ. ১-১০)। বেস
িংস্টোক, পালগ্রেভ ম্যাকমিলান।
* ম্যাককার্ডি, ই। (২০১৫)। [http://edition.cnn.com/2015/02/03/world/china-internet-growth-2014/ চীনের অনলাইন ব্যবহারকারীরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মোট জনসংখ্যার দ্বিগুণেরও বেশি (China's online users more than double entire U.S. population)]।
* ম্যাকনেয়ার, ব্রায়ান; হাইনরিখ, আনসগার্ড; ভলকমার, ইনগ্রিড; ফিরদাউস, আমিরে; গ্রাহাম, টড (২০১৩)। "অংশ ২: অংশগ্রহণমূলক সাংবাদিকতার ফর্ম", পিটার্স, ক্রিস; ব্রোয়ার্সমা, মার্সেল (সম্পাদক) ''সাংবাদিকতা পুনর্বিবেচনা'' (Rethinking Journalism), পৃ. ৭৩–১২৮। রাউটলেজ, অক্সন। {{ISBN|978-0-203-10268-8}}।
* মিচেল, এ।, এট আল। (২০১৪)। রাজনৈতিক মেরুকরণ এবং মিডিয়া অভ্যাস। পিউ রিসার্চ সেন্টার, ২১ অক্টোবর। ১১/০৩/২০১৬-এ অ্যাক্সেস করা হয়েছে।
* নেটমার্কেটশেয়ার (২০১৬) [http://netmarketshare.com/ "সার্চ ইঞ্জিন মার্কেট শেয়ার" (Search Engine Market Share)]। ৪ মার্চ ২০১৬-এ অ্যাক্সেস করা হয়েছে।
* নিকোলস, এস। (২০০৯)। [http://www.pcworld.com/article/158131/copa_killed.html কোপা শিশু-অশ্লীল আইন বাতিল (COPA child-porn law killed)]।
* ওসবোর্ন, এইচ। (২০১৩)। [http://www.ibtimes.co.uk/tiananmen-square-massacre-china-authorities-ban-big-474550 তিয়ানানমেন স্কোয়ার গণহত্যা: চীনা কর্তৃপক্ষ ইন্টারনেট থেকে ‘বড় হলুদ হাঁস’ নিষিদ্ধ করেছে (Tiananmen square massacre: Chinese censors ban ‘Big yellow duck’ from internet)]। ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস টাইমস।
* অক্সফোর্ড ইংলিশ ডিকশনারি ২০১০।
* পাগাল্লো, ইউ। (২০১৩)। অনলাইন নিরাপত্তা এবং নাগরিক অধিকারের সুরক্ষা: একটি আইনি ওভারভিউ। ''ফিলোসফি অ্যান্ড টেকনোলজি'' (Philosophy & Technology), খণ্ড ২৬, সংখ্যা ৪, পৃ. ৩৮১–৩৯।
* পাপাচারিসি, জেড। (২০১০)। ''একটি নেটওয়ার্কড সেলফ: সোশ্যাল নেটওয়ার্ক সাইটে পরিচয়, সম্প্রদায়, এবং সংস্কৃতি'' (A Networked Self: Identity, Community, and Culture on Social Network Sites)। হবোকেন: টেলর অ্যান্ড ফ্রান্সিস।
* রামজি, এ। (২০১১)। [http://content.time.com/time/magazine/article/0,9171,2048171-1,00.html সংযুক্ত (Wired up)]। টাইম অনলাইন, ১৭ ফেব্রুয়ারি। ১১/০৩/২০১৬-এ অ্যাক্সেস করা হয়েছে।
* রাপোজা, কে। (২০১১)। [http://www.forbes.com/sites/kenrapoza/2011/05/17/chinas-weibos-vs-uss-twitter-and-the-winner-is/#50b9757b646f চীনের ওয়েইবো বনাম মার্কিন টুইটার: এবং বিজয়ী কে? (China's weibos vs US's twitter: And the winner is?)]।
* রেইন্স, বিডব্লিউ এবং হেনসন, বি। (২০১৫)। হাজার মুখের চোর এবং কোনো মুখের শিকার: রুটিন অ্যাকটিভিটি থিওরির সাথে অনলাইন পরিচয় চুরির শিকার হওয়ার নির্ধারক চিহ্নিতকরণ। ''ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অফ অফেন্ডার থেরাপি অ্যান্ড কম্পারেটিভ ক্রিমিনোলজি'' (International Journal Of Offender Therapy And Comparative Criminology), সেজ পাবলিশার্স।
* শেনক, ডি। (১৯৯৭)। ডেটা ধোঁয়া: তথ্যের প্রাচুর্যে টিকে থাকা (Data smog: Surviving the information glut)। সান ফ্রান্সিসকো: হার্পার এজ।
* শিহ রে কু, আর। (শীত, ২০০২)। কপিরাইটের সৃজনশীল ধ্বংস: ন্যাপস্টার এবং ডিজিটাল প্রযুক্তির নতুন অর্থনীতি। ''দি ইউনিভার্সিটি অফ শিকাগো ল রিভিউ'' (The University of Chicago Law Review), খণ্ড ৬৯, সংখ্যা ১। (পৃ. ২৬৩-৩২৪)।
* স্টলম্যান, আর। (২০১৪)। [https://stallman.org/articles/on-hacking.html হ্যাকিং সম্পর্কে (On Hacking)]। [ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট]। ০৯/০৩/২০১৬-এ অ্যাক্সেস করা হয়েছে।
* স্ট্যানলি, এ। জে., এবং ক্লিপশ্যাম, পি। এস। (১৯৯৭)। তথ্যের অতিরিক্ততা - মিথ বা বাস্তবতা? আইইই কলোকিয়াম ডাইজেস্ট নং ৯৭/৩৪০, লন্ডন (পৃ. ১–৪)।
* স্টিবেন, ডি। (২০১৩)। [http://www.makeuseof.com/tag/the-archie-search-engine-the-worlds-first-search/ "আর্চি সার্চ ইঞ্জিন – বিশ্বের প্রথম সার্চ!" (The Archie Search Engine – The World’s First Search!)]। MakeUseOf.com, ২০ মে। ৬ মার্চ ২০১৬-এ অ্যাক্সেস করা হয়েছে।
* সোয়ার্টজ, জে। (২০০৯)। [http://usatoday30.usatoday.com/tech/news/2009-06-02-china-twitter-tiananmen-protests_N.htm সামাজিক নেটওয়ার্কিং সাইট টুইটার, ফ্লিকার চীনে অন্ধকার হয়ে যায় (Social-networking sites twitter, flickr go dark in china)]। ইউএসএ টুডে। জোনাথন জিট্রেইন এবং বেঞ্জামিন এডেলম্যান থেকে সংগৃহীত (২০ মার্চ ২০০৩)।
* টেম্পারটন, জে। (২০১৬)। [http://www.wired.co.uk/news/archive/2016-03/07/keranger-apple-os-x-ransomware-bittorrent-transmission অ্যাপল ওএস এক্স প্রথমবারের মতো র্যানসমওয়্যার আক্রমণের শিকার (Apple OS X hit by first ever ransomware attack)]। Wired.co.uk, ১৬ মার্চ। ১১/০৩/২০১৬-এ অ্যাক্সেস করা হয়েছে।
* সিকেরডেকিস, এম., এবং জিডালি, এস। (২০১৫)। সামাজিক নেটওয়ার্কিং পরিষেবাগুলোতে অনলাইন পরিচয় প্রতারণা সনাক্তকরণ এবং প্রতিরোধ। আইইইই কম্পিউটিং খণ্ড ১৯, কেনটাকি বিশ্ববিদ্যালয় (পৃ. ৪১–৪৯)।
* টার্কল, এস। (২০১১)। ''একা একসাথে: কেন আমরা প্রযুক্তির কাছ থেকে বেশি এবং একে অপরের কাছ থেকে কম আশা করি'' (Alone together: why we expect more from technology and less from each other)। নিউ ইয়র্ক, এনওয়াই: বেসিক বুকস।
* শত্রুর সাথে বাণিজ্য আইন, ১২ ইউ.এস.সি. §§ ৯৫এ–৯৫বি এবং ৫০ ইউ.এস.সি. অ্যাপ। §§ ১—৪৪ ইউ.এস.সি. (১৯১৭)।
* জাতিসংঘের মাদক এবং অপরাধ বিষয়ক কার্যালয় ইউএনওডিসি (২০১২)। [https://www.unodc.org/documents/frontpage/Use_of_Internet_for_Terrorist_Purposes.pdf সন্ত্রাসী উদ্দেশ্যে ইন্টারনেটের ব্যবহার (The use of the Internet for terrorist purposes)]। ১১/০৩/২০১৬-এ অ্যাক্সেস করা হয়েছে।
* ভাইধ্যানাথন, এস। (২০১২)। ''সবকিছুর গুগলাইজেশন (এবং কেন আমাদের উদ্বিগ্ন হওয়া উচিত)'' (The Googlization of Everything (and why we should worry))। বার্কলি: ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া প্রেস।
* ভ্যান পেল্ট, জে। (২০০৯)। ওয়েবে খাওয়ার ব্যাধি — প্রো-অ্যানা/প্রো-মিয়া আন্দোলন। ''সোশ্যাল ওয়ার্ক টুডে'' (Social Work Today), খণ্ড ৯ (৫), পৃ. ২০।
* ওয়াটসন, জে। (১৯৯৮)। মিডিয়া যোগাযোগ: তত্ত্ব এবং প্রক্রিয়ার একটি পরিচিতি (তৃতীয় সংস্করণ) (Media Communication: An Introduction to Theory and Process (Third Edition))। পালগ্রেভ ম্যাকমিলান: নিউ ইয়র্ক।
* [http://www.bbc.co.uk/guides/z2nbgk7 "ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব কী" (What is the World Wide Web)], ''বিবিসি বাইটসাইজ''। ৮ মার্চ ২০১৬-এ অ্যাক্সেস করা হয়েছে।
* উড্রাফ, এম। (২০১৪)। কীভাবে কোম্পানিগুলোকে আপনাকে অনলাইনে ট্র্যাক করা থেকে বিরত রাখবেন — চিরতরে। [http://finance.yahoo.com/news/keep-data-brokers-from-tracking-you-online-anonymously-202256230.html http://finance.yahoo.com/news/keep-data-brokers-from-tracking-you-online-anonymously-২০২২৫৬২৩০.html] থেকে সংগৃহীত।
* ইয়ং, এস., মেইকল, জি। (২০১২)। ''মিডিয়া কনভারজেন্স: দৈনন্দিন জীবনে নেটওয়ার্কড ডিজিটাল মিডিয়া'' (Media Convergence: Networked Digital Media in Everyday Life)। নিউ ইয়র্ক: পালগ্রেভ ম্যাকমিলান।
* জিট্রেইন, জে। এবং এডেলম্যান, বি। (২০ মার্চ ২০০৩)। "চীনে ইন্টারনেট ফিল্টারিংয়ের পরীক্ষামূলক বিশ্লেষণ" (Empirical Analysis of Internet Filtering in China)। আইইইই ইন্টারনেট কম্পিউটিং (মার্চ/এপ্রিল ২০০৩)। বার্কম্যান সেন্টার ফর ইন্টারনেট অ্যান্ড সোসাইটি, হার্ভার্ড ল স্কুল (Cyber.law.harvard.edu)।
2vvslh6y8rkmzd1we3syya6kv4d6kwo
সবকিছুর জন্যেই ইন্টারনেট?/উন্মুক্ত উৎসের ও মালিকানাভিত্তিক প্রযুক্তি
0
23747
85801
82563
2025-07-07T22:14:32Z
MS Sakib
6561
85801
wikitext
text/x-wiki
= ওপেন সোর্স এবং মালিকানাধীন প্রযুক্তি =
== ভূমিকা ==
[[সবকিছুর জন্যেই ইন্টারনেট?|"সবকিছুর জন্যেই ইন্টারনেট?"]] উইকিবইয়ের এই অধ্যায়ে [[উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যার|উন্মুক্ত উৎসের]] এবং মালিকানাধীন প্রযুক্তির মূল ধারণাগুলো অন্বেষণ করা হবে। ১৯৭০-এর দশকে শুরু হওয়া এই দুই ধরণের সফটওয়্যারের ঐতিহাসিক বিকাশ তাদের স্রষ্টা, অবদানকারী এবং তৈরি প্রযুক্তিগত পণ্যের রেফারেন্সের সাথে পরীক্ষা করা হবে। ১৯৮০ এবং ১৯৯০ এর দশকে উন্নয়ন অব্যাহত থাকার সাথে সাথে [[হ্যাকার সংস্কৃতি|'হ্যাকারদের']] ব্যাপকতা এবং গুরুত্ব আরও প্রাসঙ্গিক হয়ে ওঠে। বিষয়কে ঘিরে নৈতিক যুক্তিগুলোও তাই। এই অধ্যায়ে দুটি বিপরীতমুখী সফটওয়্যারের পরিপ্রেক্ষিতে মেধাস্বত্ব বা [[মেধাস্বত্ব|কপিরাইট]] এবং [[ক্রিয়েটিভ কমন্স লাইসেন্স|ক্রিয়েটিভ কমন্সের]] ধারণাগুলোও বিশ্লেষণ করা হবে। দুটি ভিন্ন সফটওয়্যারের গভীর বিশ্লেষণের মাধ্যমে তাদের ক্ষমতার সুবিধা এবং অসুবিধা সম্পর্কে আলোচনা করা হবে। ওপেন সোর্স এবং মালিকানাধীন সফটওয়্যারের এই ভিত্তিগত গবেষণা ব্যবহার করে এই অধ্যায়টি দুটি সফটওয়্যারের সমসাময়িক উদাহরণ, তাদের অ্যাপ্লিকেশন এবং একই সাথে একাধিক প্ল্যাটফর্মে কাজ করার ক্ষেত্রে তাদের কার্যকারিতা সম্পর্কিত বিতর্কগুলো পর্যালোচনা করা হবে।
== উন্মুক্ত ও মালিকানাধীন সফটওয়্যারের ইতিহাস ==
একজন লেখক এবং লেখকত্বের সারমর্ম হোমার প্রবর্তন করেছিলেন। আগেরকার গল্পগুলো মুখে মুখে বলে পরিবেশিত হত। ফলে মূল দুটি গল্প কখনো হুবুহু এক হতোনা। "বার্ড"দের পরিবেশিত এসব গল্পে উন্মুক্ত বাক্যাংশ ব্যবহার করে একটি গল্পের ভিত্তি তৈরি কর্কিত। এটি নিশ্চিত করে না যে প্রতিটি দুটি গল্প একই।
হোমারই প্রথম ব্যক্তি যিনি কাগজে কলম লাগিয়ে একটি প্রতিলিপি তৈরি করেছিলেন। এর একটি প্রধান উদাহরণ হলো '[[w:ওডিসি|দ্য ওডিসি]]'। এই নতুন ধারণাটি চালু হওয়ার সাথে সাথে হোমার একটি কাল্পনিক জগতকে বৈধতা দিয়েছিলেন। একজন লেখক হওয়ার সাথে সাথেই লেখা বিতরণের চারপাশে একটি সৃজনশীল শিল্প শুরু হয়। লেখার পিছনে কেন আমাদের প্রক্রিয়া আছে এবং কীভাবে সেগুলো কাজ করে এবং বিতরণ করা হয়, সে সম্পর্কে লেখকরা গুরুত্বপূর্ণ। হোমার কপিরাইট আইন এবং রয়্যালটিগুলোতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।
হোমার প্রতিলিপি লেখার আদর্শ প্রবর্তন করার পর স্পষ্ট হয়ে ওঠে যে এর সীমিত কপি ছিল। কারণ প্রতিটি কপি হাতে লিখতে হত এবং প্রায়ই তৈরি করতে কয়েক মাস সময় লাগত। এরপর গুটেনবার্গ ১৫০০ সালের দিকে প্রথম ছাপাখানা চালু করেন। এর ফলে কপি করা দ্রুততর হয় এবং লেখকদের পাঠক সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। শেক্সপিয়র মূলত এভাবেই খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। কারণ তিনি দ্রুত ধারাবাহিকভাবে প্রচুর প্রতিলিপি তৈরি করতে সক্ষম হয়েছিলেন। তবে আধুনিক সমাজে আমরা এই যুগান্তকারী আবিষ্কারটিকে হালকাভাবে নিই। কারণ আমরা কোনও দ্বিধা ছাড়াই মূল মালিককে এর রয়্যালটি বা স্বীকৃতি না দিয়েই কোনও কাজের অনুলিপি তৈরি করতে পারি।
বিভিন্ন প্রতিলিপি অ্যাক্সেস করার দ্রুততার কারণে, একটি রেজিস্টার বাস্তবায়ন করা হয়েছিল যাতে কেবলমাত্র নির্দিষ্ট কিছু প্রত্যয়িত ছাপাখানাগুলোকে কেবল নির্দিষ্ট প্রতিলিপি মুদ্রণের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। তাদের একটি নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে মুদ্রণের অনুমতিপ্রাপ্ত সংখ্যার উপরও একটি সীমা ছিল। লেখক যাতে তাদের শ্রেষ্ঠ রচনাগুলোর জন্য খ্যাতি এবং বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করতে পারেন, সেজন্য এটি চালু করা হয়েছিল। স্পষ্টতই এটি ১৫০০ এর দশকের মধ্যে এবং তার পরেও ব্যবহৃত হয়েছিল। আজকের আধুনিক যুগে আমরা লেখকত্ব এবং রয়্যালটি সমর্থন করার জন্য ক্রমাগত কপিরাইট আইন প্রয়োগ করছি।
=== <u>১৯৮০ সালের পূর্ববর্তী</u> ===
==== ইউনিক্স ====
বলা হয় [http://www.unix.org/ ইউনিক্স] হলো কম্পিউটিংয়ের প্রযুক্তিগত অগ্রগতির সূচনা। ১৯৭০-এর দশকের গোড়ার দিকে এটি ছিল সি প্রোগ্রামিং ভাষায় লেখা প্রথম অপারেটিং সিস্টেম। এর মূল স্রষ্টা কেন থম্পসন এবং ডেনিস রিচি ছিলেন বলে বিশ্বাস করা হয়।<ref>http://www.unix.org/what_is_unix/history_timeline.html</ref> এটি ছিল প্রথম ওপেন সোর্সড অপারেটিং সিস্টেম যা যে কেউ বিনামূল্যে যোগ করতে, উন্নত করতে এবং উন্নত করতে পারত।<ref>http://www.unix.org/what_is_unix.html</ref> লিনাক্স সহ এখন পর্যন্ত বেশিরভাগ অপারেটিং সিস্টেমের ভিত্তি ইউনিক্স।
=== <u>১৯৮০–১৯৮৯</u> ===
==== ইউজনেট ====
ওপেন সোর্স এবং মালিকানাধীন প্রযুক্তির সূচনা ১৯৮০ এর দশকের আগেই শুরু হয়েছিল। কিন্তু এই সময়ের আগে খুব বেশি কিছু সহজলভ্য ছিল না। কারণ ১৯৮০ সালের আগে [https://en.usenet.nl/ ইউজনেটের] আগমন ঘটেনি। বিশ্বব্যাপী ভাগাভাগি এবং সহযোগিতার প্রথম উপায় ছিল ইউজনেট। ইউজনেট প্রকাশের সাথে সাথে এটি ওপেন সোর্স তথ্য ভাগাভাগি এবং ফাইল ভাগাভাগি উভয়েরই সূচনা করে।
==== গ্নু প্রকল্প/মুক্ত সফটওয়্যার আন্দোলন ====
ওপেন সোর্স এবং মালিকানাধীন সফটওয়্যারের পরবর্তী ঐতিহাসিক মুহূর্ত ছিল রিচার্ড স্টলম্যানের দ্বারা GNU প্রকল্পের ভূমিকা। [https://www.gnu.org/ GNU] হলো ব্যবহারকারীদের স্বাধীনতাকে সম্মান করার আরেকটি অপারেটিং সিস্টেম প্রকল্প যা বিভিন্ন ওপেন সোর্স প্রোগ্রাম দ্বারা করা হয়েছে যা GNU সফটওয়্যার নিজেই তৈরি করে না। যখন GNU তৈরি হয়েছিল, তখন [http://www.gnu.org/philosophy/free-software-intro.en.html "মুক্ত সফটওয়্যার আন্দোলন"] শুরু হয়েছিল। মুক্ত সফটওয়্যার আন্দোলনের ধারণা হলো কম্পিউটার ব্যবহারকারীদের একটি সম্প্রদায় গঠনের স্বাধীনতা প্রাপ্য।
==== ৩৮৬বিএসডি ====
১৯৮০-এর দশকের শেষের দিকে [http://www.386bsd.org/ 386BSD-এর] কাজ শুরু হয়। ৩৮৬বিএসডি "জোলিক্স" নামেও পরিচিত, যা ইউনিক্স থেকে আসা আরেকটি বিনামূল্যের অপারেটিং সিস্টেম। এটি ঐতিহাসিক মুহূর্তগুলোর আরেকটি অগ্রগতি কারণ এটি পরবর্তীতে FreeBSD এবং NetBSD-এর দিকে পরিচালিত করে।
=== <u>১৯৯০-১৯৯৯</u> ===
==== লিনাক্স ====
এই দশকটি ওপেন সোর্স এবং মালিকানাধীন সফটওয়্যারকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করেছে। অগ্রগতির পাশাপাশি, ১৯৯১ সালে লিনাস টরভাল্ডস লিনাক্স তৈরির সিদ্ধান্ত নেন, যা GNU অপারেটিং সিস্টেমের উপর অগ্রসর হয়, যাতে একটি সম্পূর্ণ বিনামূল্যের এবং ওপেন সোর্স অপারেটিং সিস্টেম প্রদান করা যায়। লিনাক্সের প্রতিষ্ঠাতা ইউনিক্সের নিজস্ব সংস্করণ তৈরি করেছিলেন। তিনি নিজের অপারেটিং সিস্টেম তৈরি করতে চেয়েছিলেন, তবে আপনি কল্পনা করতে পারেন যে দশ মিলিয়ন লাইন কোড লিখতে কতটা সময় লাগবে, তাই তিনি ইন্টারনেটে তার দৃষ্টিভঙ্গি ভাগ করে নেন এবং ফলস্বরূপ অনেক কম্পিউটার উৎসাহী এতে যোগ দেন। মূলত এটি ছিল একটি কম্পিউটিং সিস্টেম যা যে কেউ তৈরি এবং ব্যবহার করতে সক্ষম। অপারেটিং সিস্টেমটিকে একই সাথে বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম এবং মাল্টিমিডিয়ামে সংহত করা একটি চ্যালেঞ্জ ছিল। যাইহোক, একবার কার্নেল, অপারেটিং সিস্টেমের ভিত্তি তৈরি হয়ে গেলে, বাকিগুলো পালাক্রমে অনুসরণ করা হয়।
==== লাল টুপি ====
১৯৯৩ সালে [https://www.redhat.com/en/open-source রেড হ্যাটের] প্রতিষ্ঠা ঘটে। রেড হ্যাট একটি লিনাক্স ডিস্ট্রিবিউশন ভিত্তিক কোম্পানি, যা প্রমাণ করে যে ওপেন সোর্স সফটওয়্যার অত্যন্ত লাভজনক হতে পারে। তারা তাদের নীতিবাক্য পূরণ করার চেষ্টা করে:<div align="center">
<small>"প্রতিটি সমাধান শুরু হয় সমস্যা ভাগ করে নেওয়ার মাধ্যমে। প্রযুক্তি উন্মুক্তভাবে সমৃদ্ধ হয়, যেখানে মানুষ তাদের ধারণা ভাগ করে নেওয়ার এবং অন্যদের কাজের উপর ভিত্তি করে গড়ে তোলার জন্য স্বাধীন।"</small>
<small>"সৃষ্টি সর্বদা সহযোগিতার একটি কাজ" </small>
</div>
==== MySQL/Java 1.0 ====
১৯৯৫ সালে [https://www.mysql.com/ মাইএসকিউএল] এবং প্রথম [https://java.com/en/ জাভা] সোর্স প্রোগ্রামিং ভাষা উভয়ই প্রকাশিত হয়েছিল। মাইএসকিউএল হলো একটি ওপেন-সোর্স রিলেশনাল ডাটাবেস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম যা ISAM ভাষার উপর ভিত্তি করে তৈরি। জাভা ১.০ এর প্রথম পাবলিক রিলিজটিও ১৯৯৫ সালে [https://www.oracle.com/sun/index.html?PHPSESSID=8fd76773d26875481e097a4a27c7a6a1 সান মাইক্রোসিস্টেমস] দ্বারা প্রকাশিত হয়েছিল। ২০০৬ সালে OpenJDK চালু হওয়ার পর সান মাইক্রোসিস্টেম সমস্ত জাভা প্যাকেজ ওপেন সোর্সড প্রোগ্রাম তৈরি করে।<div align="center">
<small>জাভা ১.০ প্রতিশ্রুতি দিয়েছে "একবার লিখুন, যেকোনো জায়গায় চালান</small>
</div>
==== অ্যাপাচি ====
পরবর্তীতে দশকের শেষের দিকে আমরা [https://httpd.apache.org/ অ্যাপাচি প্রকাশের মাধ্যমে আরও অগ্রগতি দেখতে পাই।] অগ্রগতি স্থবির হয়ে পড়ার পর NCSA HTTPd সার্ভারগুলোতে সম্প্রসারণের প্রয়াসে Apache-র উ[প্র ভিত্তি তৈরি করা হয়েছিল Apache হলো একটি অবাধে উপলব্ধ ওয়েব সার্ভার। এটি একটি ওপেন সোর্স লাইসেন্সের অধীনে বিতরণ করা হয়।
==== নেটস্কেপ ====
১৯৯৮ সালে [http://isp.netscape.com/ নেটস্কেপ] তাদের ওয়েব ব্রাউজার ওপেন সোর্স করে দেয়। মজিলা হলোনেটস্কেপের তৈরি একটি মুক্ত সফটওয়্যার সম্প্রদায়। এটি ওপেন সোর্সড হওয়ার ফলে ব্যবহারকারীরা পণ্যটি ব্যবহার, বিকাশ এবং প্রসারের সুযোগ পান। <ref>https://www.mozilla.org/en-GB/</ref> এরপর মজিলা [https://www.mozilla.org/en-GB/about/ মজিলা ফায়ারফক্স] তৈরি করে।এটি আজও একটি সুপরিচিত ওয়েব ব্রাউজার।
==== ল্যাম্প ====
LAMP এর বেশিরভাগ ধারণা নিম্নরূপ।
<u>লিনাক্স -</u> অপারেটিং সিস্টেম যা পুরো প্রক্রিয়াটিকে সমর্থন করে।
<u>অ্যাপাচি</u> - অ্যাপাচি হলো একটি ওয়েব সার্ভার, যা আপনাকে আপনার প্রয়োজনীয় তথ্য অর্জনের জন্য সিস্টেমের সাথে কীভাবে যোগাযোগ করতে হবে তা বলে। এটি একটি গ্রাফিক্যাল ইউজার ইন্টারফেসের (GUI) অনুরূপ। এটি সার্ভারগুলোকে একে অপরের সাথে কীভাবে ইন্টারঅ্যাক্ট করতে হয় তাও বলে।
<u>MySQL বা মাইএসকিউএল</u> হলো ডাটাবেজ। এখানেই সমস্ত তথ্য সংরক্ষণ করা হয় এবং ব্যবহারকারীর কাছে উপস্থাপন করার জন্য পুনরুদ্ধার করা হয়।
<u>PHP</u> - PHP হলো ব্যবহারকারীর কাছে সিস্টেমের সামগ্রিক সরবরাহ/ যেমন একটি মনিটর, স্পিকার এবং VDU। এটি ব্যবহারকারীকে সামগ্রিক অভিজ্ঞতা প্রদান করে।
কম্পিউটার ব্যবহারের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সবকিছুই ওপেন সোর্স সফটওয়্যারের মাধ্যমে করা হয়।
=== <u>২০০০-২০১০</u> ===
==== ওপেনঅফিস ====
২০০০-এর দশকেও ওপেন সোর্সড এবং মালিকানাধীন সফটওয়্যারের অগ্রগতি অসাধারণ ছিল। ২০০১ সালে ওপেনঅফিস প্রথম প্রকাশিত হয় যা পরবর্তীতে [https://www.openoffice.org/ অ্যাপাচি ওপেনঅফিস], [https://www.libreoffice.org/ লিব্রেঅফিস] ([https://www.openoffice.org/ Apache OpenOffice], [https://www.libreoffice.org/ LibreOffice]) এবং ওরাকল ওপেনঅফিসে শাখাভুক্ত হয় (এটিই একমাত্র ক্লোজড সোর্স যা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল)। ওপেনঅফিস ছিল একটি উন্মুক্ত উৎসের অফিস স্যুট প্রোগ্রাম যা মাইক্রোসফট অফিসের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে।
==== উবুন্টু ====
২০০৪ সালের মধ্যেই ডেবিয়ান-ভিত্তিক লিনাক্স ডিস্ট্রিবিউশন [http://www.ubuntu.com/ উবুন্টু] মুক্তি পায়। "উবুন্টু একটি ওপেন সোর্স সফটওয়্যার প্ল্যাটফর্ম। এটি স্মার্টফোন, ট্যাবলেট এবং পিসি থেকে শুরু করে সার্ভার এবং ক্লাউড সর্বত্র চলে।" উবুন্টুর লোগো প্রতীকটি "বন্ধুদের বৃত্ত" প্রতিনিধিত্ব করে। এটি ওপেন সোর্স সফটওয়্যারের সাথে সহযোগিতা প্রদর্শন করে। এটি একটি অত্যন্ত ঐতিহাসিক মুহূর্ত। কারণ এখন উবুন্টুর ২৪টিরও বেশি অফিসিয়াল রিলিজ থাকার পাশাপাশি অনেক অনানুষ্ঠানিক ভার্সনও রয়েছে।
==== গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ ====
এই আলোচনায় চারজন প্রভাবশালী কম্পিউটিং প্রতিভার কথা উল্লেখ করাও গুরুত্বপূর্ণ। তারা তাদের আবিষ্কারের মাধ্যমে বিশ্বকে মুগ্ধ করেছিলেন। ১৯৪৫ সালে স্নায়ুযুদ্ধের প্রাক্কালে <u>বুশ</u> মাইক্রো ফিল্ম ব্যবহার করে প্রথম কম্পিউটার চালু করেন। তিনি বিশ্বাস করতেন যে সকলেরই বিশ্ব জ্ঞানে প্রবেশাধিকার থাকা উচিত। এটি ছিল একটি অত্যন্ত কাল্পনিক পদ্ধতি। বুশ আর্থিক মূল্যের জন্য এই ক্ষেত্রটি অনুসরণ করেননি। বরং তিনি বিশ্বাস করতেন,প্রত্যেকেরই তথ্যের অ্যাক্সেসযোগ্যতা থাকা উচিত। এনিগমায় তার কাজের জন্য কুখ্যাত <u>টুরিং</u> এমন একটি যন্ত্র তৈরি করেছিলেন যা যেকোনো কিছু গণনা করতে সক্ষম ছিল। তথ্য ইনপুট করার এবং দ্রুত ধারাবাহিকভাবে কম্পিউটিং কোডের মাধ্যমে যন্ত্রের বোধগম্য ভাষাতে রূপান্তর করার সুযোগ পাওয়া যায়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় টুরিং সরকারি কোড এবং সাইবার স্কুলে কাজ করেছিলেন। টুরিংকে একটি দল বরাদ্দ করা হয়েছিল যেখানে তিনি জার্মান নৌ ক্রিপ্ট বিশ্লেষণের দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন। <u>এঙ্গেলবার্ট</u> যুক্তরাজ্যের অন্ধকার প্রধান প্রতিরক্ষার জন্য কাজ করেছিলেন। তিনি দৈত্যদের কাঁধে দাঁড়ানোর উপর বিশ্বাস করতেন এবং বুশ এবং টুরিংয়ের তৈরি পূর্ববর্তী কাজগুলো ব্যবহার করতেন। রিনি অনেক দুর্দান্ত জিনিস অর্জনের জন্য এটিকে প্রসারিত করেছিলেন। সকল ডেমোর জননী ১৯৬৯। তবে অন্য তিনজনের তুলনায় <u>নেলসন</u> ছিলেন খুবই রহস্যময়। নেলসন হাইপারটেক্সট, HTTP এবং মূলত ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব (www) তৈরিতে সহায়তা করেছিলেন। তিনি জানাডু নামে পরিচিত একটি প্রোগ্রামও তৈরি করেছিলেন। ধারণা করা হয়েছিল এটি ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবের চেয়ে বেশি দক্ষ হবে। তবে আগের তিনজনের বিপরীতে নেলসন ধারণাটি পেটেন্ট করতে এবং ফ্র্যাঞ্চাইজির মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে চেয়েছিলেন। দুর্ভাগ্যবশত নেলসনের ক্ষেত্রে এটি কাজ করেনি। শীঘ্রই ধারণাটি ব্যর্থ হয়ে যায়। এই সংক্ষিপ্ত ইতিহাস জুড়ে একটি মূল বিষয়বস্তু হলো সামরিক বাহিনীর সাথে সম্পর্ক এবং যোগাযোগ। যদি সামরিক বাহিনী এবং সম্ভবত বিশ্বযুদ্ধ না থাকত, তাহলে আমরা আজ উন্নয়নের ডিজিটাল জগতে যেখানে আছি সেখানে হয়তো থাকতাম না। এমনকি আইপি ইন্টারনেট প্রোটোকলও সামরিক বাহিনী থেকেই এসেছে/ তবে একটি বিষয় নিশ্চিত, আসলে ডিজিটাল প্রযুক্তি খুবই রাজনৈতিক।
== হ্যাকার নীতি ==
=== হ্যাকারের বিবর্তন: অতীত ও বর্তমান ===
"হ্যাকার" শব্দটির সাধারণ অর্থ বিভিন্ন প্রজন্মের কাছে ভিন্ন ভিন্ন। লেভি (১৯৬৮) বলেছেন, কম্পিউটার বিজ্ঞান জগতের লোকেরা "এই শব্দটিকে উপহাসের একটি রূপ হিসেবে ব্যবহার করত। এর অর্থ হ্যাকাররা হয় অলস সামাজিকভাবে বহিষ্কৃত অথবা "অপেশাদার" প্রোগ্রামার, যারা নোংরা "অমানবিক" কম্পিউটার কোড লিখেছিল"।<ref>Levy, Steven. 1986 ''Hackers: - Heroes of the Computer Revolution''</ref> লেভি হ্যাকার কী তা বর্ণনা করেছেন। তার তুলনায় ডগলাস (২০০২) হ্যাকারদের বর্ণনা করেছেন "একটি সংস্কৃতি হিসেবে, কম্পিউটার উৎসাহীদের একটি দল যারা এমন একটি জায়গা এবং পদ্ধতিতে কাজ করে যা সঠিকভাবে কীভাবে কাজ করে তা জানার জন্য সীমাহীন কৌতূহলের অনুভূতি দ্বারা সংজ্ঞায়িত করা যেতে পারে। তবে এই জ্ঞানকে আরও বিস্তৃত সাংস্কৃতিক ধারণা দ্বারা সংজ্ঞায়িত করা হয়"। <ref>Levy, Steven. 1986 ''Hackers: - Heroes of the Computer Revolution''</ref> আবার দুটি ভিন্ন প্রজন্ম হ্যাকার কী তা বিশ্বাস করে তার দুটি ভিন্ন সংজ্ঞা দেয়। হ্যাকিংয়ের এই ইতিহাসটি একটি জটিল কিন্তু আকর্ষণীয় ক্ষেত্র। কারণ একবিংশ শতাব্দীতে আমরা হ্যাকিংকে একটি অপরাধ হিসেবে জানি। কিন্তু আজকের বিশ্বে অগ্রগতির জন্যেই এটি ব্যবহার করা হয়েছিল। আবার লেভি (২০১৬) উদ্ধৃত করেছেন, "এটি ছিল ভাগাভাগি, উন্মুক্ততা, [[বিকেন্দ্রীকরণ]] এবং যেকোনো মূল্যে মেশিনের উন্নতি এবং বিশ্বকে উন্নত করার জন্য মেশিন হাতে পাওয়ার একটি দর্শন"। এই দর্শন বা নীতিশাস্ত্র তাদের সংস্কৃতির জন্য উপহার ছিল; এমন কিছু যা আমাদের মধ্যে যাদের কম্পিউটারে মোটেও আগ্রহ নেই তাদের জন্যও মূল্যবান। হ্যাকিংয়ের বিবর্তন দেখতে পাওয়া যায় যদি কেউ হ্যাকিংয়ের এই গতিবিধিটি অধ্যয়ন করে যা বর্তমানে "অজ্ঞাত" নামে পরিচিত। কারণ এই আন্দোলনটি শুরু হয়েছিল সহজ ট্রোলিং, অপ্রীতিকর উপাদান ভাগ করে নেওয়া এবং [[ফোরচান|4chan]] ওয়েবসাইটে "মিমস" এর মতো অদ্ভুত নতুন ইন্টারনেট অভিব্যক্তি তৈরির মাধ্যমে। হ্যাকাররা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির এই পটভূমি থেকে এসেছে এবং এটিকে "হ্যাকটিভিজম"-এ রূপান্তরিত করেছে। এটি কোনও উদ্দেশ্যকে সমর্থন, অসম্মান বা ব্যাহত করার সরাসরি উদ্দেশ্য নিয়ে হ্যাকিং। এই "অজ্ঞাত" ভাবে তৈরি করেছে। এগুলো হ্যাকিং বিবর্তনের একটি সহজ ফসল এবং অনেকেই ইতিবাচক হিসেবে দেখবেন এমন কাজ করেছে। যেমন [[কু ক্লাক্স ক্লান|কু ক্লাক্স ক্ল্যানের]] সদস্যদের উন্মোচন করা।
=== সৃজনশীল বনাম অপরাধী ===
কম্পিউটারের প্রাথমিক যুগের সাথে সাথে উন্নতির জন্য সর্বদাই জায়গা ছিল। প্রতি বছর বিভিন্ন হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যার দিয়ে কম্পিউটার আপগ্রেড করা হচ্ছে। এক অর্থে হ্যাকাররা সবসময়ই বোঝাপড়ার জন্য চেষ্টা করত। কিন্তু এগিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে তারা সফটওয়্যারও আপগ্রেড করছিল। অ্যালবার্টস এবং ওল্ডেনজিয়েল (২০১৪) এর বর্ণনা অনুযায়ী হ্যাকার ছিলেন একজন ব্যক্তি "যিনি ইচ্ছাকৃতভাবে বাইরের ব্যক্তির ভূমিকা বেছে নেন, জটিলতাগুলো আয়ত্ত করতে হয়, তালা ভাঙতে হয় এবং বহিষ্কারকে অনুপ্রবেশের মাধ্যমে মোকাবেলা করতে হয়"। তারা আরও ব্যাখ্যা করে, হ্যাকাররা "কোনও ক্ষতি না করার জন্য" অনুপ্রবেশের একটি ছাপ রেখে যেতে চেয়েছিল। বিশ্বজুড়ে হ্যাকার সংস্কৃতিকে ভিন্নভাবে দেখা হয়। অনেক দেশ এই সংস্কৃতিকে বিভিন্ন রূপে ব্যবহার করে। উদাহরণস্বরূপ, যুগোস্লাভ কিশোর-কিশোরী এবং ছাত্ররা পার্টি ও সঙ্গীতের উপসংস্কৃতির অংশ হিসেবে কম্পিউটার "ঝাঁকুনি" দিত। অন্যদিকে ফিনিশ গণতন্ত্রগুলো এটিকে "উদীয়মান প্রোগ্রামারদের তাদের কাজ দেখানোর জন্য" "অনুষ্ঠানের আচার" হিসেবে ব্যবহার করত। অন্যদিকে [[Wau holland|"ওয়াউ হল্যান্ড"]] নামে একজন জার্মান হ্যাকারের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক কার্যকলাপের অভিযোগ আনা হয়েছিল। এর মাধ্যমে তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে একটি ব্যাংকের নিরাপত্তা ত্রুটিগুলো দেখানোর জন্য হ্যাক করেছিলেন। তারা যে সিস্টেমটি হ্যাক করছিল তা ছিল একটি নতুন সিস্টেম যা ব্যাংকটি একটি ইন্টারেক্টিভ টেলিটেক্সট সিস্টেম ( [[Btx (form factor)|Btx]] ) স্থাপন করেছিল। এর প্রধান নিরাপত্তা ত্রুটি ছিল। হ্যাকাররা পাসওয়ার্ডগুলো হেরফের করতে এবং ট্র্যাক করতে সক্ষম হয়েছিল। এই কাজ করে হল্যান্ড এবং তার সহযোগী এক রাতে তাদের অ্যাকাউন্টে €১৩৫,০০০ ট্রান্সফার করতে সক্ষম হন। তাদের ব্যাংক হ্যাক করার চার বছর পর ওয়ার্নারিকে আরও কম্পিউটার অপরাধের জন্য ফ্রান্সে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। ১৯৮৬/৮৭ সালে [[নাসা|নাসার]] মতো সরকারি কর্তৃপক্ষ এবং গবেষণা সংস্থাগুলোর ব্যবহৃত VAX কম্পিউটারগুলোতে একটি বাগ আবিষ্কার করে হ্যাকাররা এই কম্পিউটারগুলোতে অ্যাক্সেস পেতে সক্ষম হয়। এরপর তার বিরুদ্ধে ১০০টি কম্পিউটার থেকে ডেটা অ্যাক্সেস, কপি এবং ধ্বংস করার অভিযোগ আনা হয়। হ্যাকিং জগতের অপরাধমূলক দিকের আরেকটি উদাহরণ হতে পারে ১৯৯০ সালের AT&amp;T-এর দূরপাল্লার টেলিফোন সুইচিং সিস্টেমটি ক্র্যাশ করার ঘটনা। স্টার্লিং (১৯৯৪) ব্যাখ্যা করেছেন, এই দুর্ঘটনার সময় ৬০,০০০ মানুষ নয় ঘন্টার জন্য টেলিফোন পরিষেবা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল। এটি শুরু হয়েছিল কারণ ম্যানহাটনের একটি সুইচিং-স্টেশন AT&T-এর নিজস্ব সিস্টেমে পাওয়া একটি বাগের কারণে ক্র্যাশ হয়ে গিয়েছিল।
=== কম্পিউটার/হ্যাকিং নীতিশাস্ত্রের গঠন ===
হ্যাকিংয়ের ক্ষেত্রে আমরা জানি যে মানুষ বিভিন্ন কারণে এটি করে। ভালো হোক বা খারাপ, তুলনা করার মতো কোনও মধ্যম ক্ষেত্র নেই। টেলর (১৯৯৯:১৩৬) যা বর্ণনা করেছেন যে "হ্যাকিংয়ের নৈতিক জটিলতার মুখোমুখি হলে, তারা এবং আমাদের পরিস্থিতির মেরুকৃত অবস্থানের মধ্যে থাকা নৈতিক নিশ্চিততাগুলো গ্রহণ করার প্রলোভন দেখা দেয়"। গত দশকে প্রযুক্তির অগ্রগতির সাথে সাথে, এটি হ্যাকিং প্রজন্মকে তাদের নিজস্ব জ্ঞান, নতুন হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যার উন্নত করার জন্য বিভিন্ন খেলার মাঠ উপহার দিয়েছে। হ্যাকিং সম্ভব করার অন্যতম প্রধান কারণ হলো গোপনীয়তার সমসাময়িক সংস্কৃতি যা সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং অর্থনৈতিক মিথস্ক্রিয়ার একটি বৃহৎ অংশকে নিয়ন্ত্রণ করে। গোপনীয়তার কারণে হ্যাকাররা বিচ্ছিন্ন বোধ করে। কিন্তু সুবিধাও পায়। আমরা জানি হ্যাকাররা গোপনীয়তার বিরোধিতা করে, তারা নিজেদের বিরোধিতা করে, তারা যে পদ্ধতি বা পদ্ধতিটি পরিচালনা করে তা কাজে লাগিয়ে, প্রযুক্তি এবং সমসাময়িক সংস্কৃতির সাথে তাদের অবস্থানকে জটিল করে তোলে। ডগলাস (২০০২:১১৫) ব্যাখ্যা করেন যে হ্যাকিংয়ের প্রাথমিক প্রজন্মে, ধারণা, তথ্য ভাগাভাগি করার পাশাপাশি প্রযুক্তি অ্যাক্সেসের জন্য সম্প্রদায়গুলোর উপর প্রচুর নির্ভর করা হত। ১৯৫০/৬০ এর দশকে, সম্প্রদায়গুলো এমআইটি, হার্ভার্ড, কর্নেল এবং আরও কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবগুলোকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছিল। <ref>Douglas, Thomas 2002 ''Hacking Culture''</ref>
টেলর আরও বলেন,"হ্যাকাররা এমন বাচ্চাদের মতো যারা রেললাইনে দশ পেন্সের টুকরো রেখে দেখে যে এটি বাঁকছে কিনা। কিন্তু তারা বুঝতে পারে না যে তারা পুরো ট্রেনটি রেলিং থেকে নামিয়ে দেওয়ার ঝুঁকি নিচ্ছে"। হ্যাকারদের কীভাবে উপস্থাপন করা হয় তা দেখার একটি ভালো উপায় হলো "মিস্টার রোবট"। এটি এমন একটি প্রোগ্রাম যেখানে একদল হ্যাকার একটি বহুজাতিক কর্পোরেশনকে আক্রমণ করে বিশ্বকে ঋণমুক্ত করতে বদ্ধপরিকর। টেলর (১৯৯৯) উল্লেখ করেছেন,ব্যবসায়িক নীতিশাস্ত্রের একটি গবেষণার সময়, এমন কিছু বিষয় উঠে এসেছে যা দেখায় যে শিল্পের মধ্যে নীতিগত সিদ্ধান্তগুলো আরও কঠিন এবং বয়স্ক জনগোষ্ঠীর কাছ থেকে আসার প্রবণতা রয়েছে। কম্পিউটার শিল্পের সদস্যরা সাধারণত সাধারণ হ্যাকারদের তুলনায় বয়স্ক হন এবং কম্পিউটারকে তাদের দৈনন্দিন জীবনের একটি হাতিয়ার হিসেবে দেখেন, অন্যদিকে হ্যাকাররা কম্পিউটারকে একটি শখ হিসেবে দেখেন। এই বয়সের পার্থক্য সম্ভবত একটি কারণ যার জন্য নিরাপত্তা শিল্প এবং গোপন কম্পিউটারের সদস্যদের নীতিগত দৃষ্টিভঙ্গিতে মৌলিক পার্থক্য রয়েছে।
==== 'অলিখিত আইন' ====
অনেক কম্পিউটার ভক্ত এমন একটি কাঠামো অনুসরণ করেন যাকে অনেকে হ্যাকারদের বাইবেল বলে। এটি এমন কিছু অলিখিত নিয়মে। তারা বিশ্বাস করে এভাবেই সফটওয়্যার লেখা এবং সরবরাহ করা উচিত। তারা সেই অনুযায়ী আরও উন্মুক্ত এবং উদার কিছু পরিবর্তন করতে চায়। এটি মূলত সফটওয়্যারের সহজলভ্যতা এবং এটি ব্যবহার করতে ইচ্ছুক সকলের কাছে এর সহজলভ্যতার সাথে সম্পর্কিত। সকল তথ্য বিনামূল্যে থাকা উচিত। কর্তৃপক্ষের উপর অবিশ্বাস করুন, বিকেন্দ্রীকরণকে উৎসাহিত করুন। দ্বিতীয়ত এই ধারণাটি উপস্থাপন করে যে, বিশ্বজুড়ে বা এমনকি বিভিন্ন দেশে একাধিক সার্ভার থাকা উচিত। সেগুলোতে একই তথ্য জমা থাকবে, যাতে অন্য কোনও সফটওয়্যার এবং/অথবা প্রোগ্রাম ব্যর্থ হলে আপনি সর্বদা অ্যাক্সেস পেতে পারেন। একাধিক সার্ভার থাকার ফলে বৃহত্তর শ্রোতা তৈরি হবে। এর ফলে প্রোগ্রামগুলোতে সবার অ্যাক্সেস থাকার পাশাপাশি কর্মক্ষমতাও উন্নত মানের হবে। হ্যাকারদের বিচার করা উচিত তাদের হ্যাকিং দিয়ে; কোনো ডিগ্রি, বয়স, জাতি বা পদের মতো ভুয়া মানদণ্ড দিয়ে নয়। আমি বিশ্বাস করি এটি বিশেষ করে আধুনিক যুগ এবং সমাজের সাথে গভীরভাবে সম্পর্কিত যেখানে জীবনের সকল ক্ষেত্রেই সমতার জন্য লড়াই অব্যাহত রয়েছে। বিশেষ করে আজকের ডিজিটাল জগতে এমন অনেক তরুণ আছেন যারা অসাধারণ কোডিং তৈরি করতে সক্ষম যা একটি IOS সিস্টেমের মধ্যে একত্রিত করা যেতে পারে। এগুলো বিভিন্ন মাল্টি মিডিয়ামে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে পারে। আপনি কম্পিউটারে শিল্প ও সৌন্দর্য তৈরি করতে পারেন। এটি কম্পিউটিং জগতের সকল মাত্রার জন্য দায়ী, তা ডিজিটাল শিল্প, প্রোগ্রামিং, চলচ্চিত্র নির্মাণ হোক... তালিকাটি অন্তহীন। বলা বাহুল্য, সবই শিল্পের উপাদান। এগুলোকে হালকাভাবে নেওয়া উচিত নয়। কম্পিউটার জীবনকে আরও ভালোর দিকে বদলে দেয়। প্রযুক্তি ক্রমাগত বিকশিত হচ্ছে এবং উন্নতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা এখন বধির এবং অন্ধদের জন্য এমন ব্যবস্থা তৈরি করতে সক্ষম হয়েছি যা মিথস্ক্রিয়া এবং যোগাযোগের পাশাপাশি আরও অনেক কিছুতে সহায়তা করে যা অসংখ্য ব্যক্তি এবং পরিবারকে সহায়তা করে।
== ক্রিয়েটিভ কমন্স বনাম কপিরাইট ==
=== ক্রিয়েটিভ কমন্স কী? ===
২০০১ সালে লরেন্স লেসিগ, হাল অ্যাবেলসন এবং এরিক ইল্ড্রেড অলাভজনক সংস্থা '''ক্রিয়েটিভ কমন্স (CC)''' প্রতিষ্ঠা করেন। এটি অন্যদের জন্য উপলব্ধ সৃজনশীল কাজ বাড়ানোর জন্য চেষ্টা করছে। এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা আইনগতভাবে ভিত্তি করে তৈরি করতে এবং অন্যদের সাথে ভাগ করতে পারেন। ক্রিয়েটিভ কমন্স লাইসেন্সগুলি জনসাধারণের জন্য বিনামূল্যে প্রকাশিত হয়। ক্রিয়েটিভ কমন্স সম্পর্কিত প্রথম নিবন্ধটি একটি সাধারণ আগ্রহের প্রকাশনায় হাল প্লপকিনের “All Hail Creative Commons Stanford professor and author Lawrence Lessig plans a legal insurrection” (২০০২)-এ প্রকাশিত হয়। ২০০৪ সালের নভেম্বর পর্যন্ত প্রায় ৮৮০ মিলিয়ন কাজ ক্রিয়েটিভ কমন্স লাইসেন্সের আওতায় লাইসেন্সপ্রাপ্ত।<ref>[https://creativecommons.org/licenses] , About the Licenses – Creative Commons.</ref>
'''ক্রিয়েটিভ কমন্সের বিভিন্ন দিক'''
ক্রিয়েটিভ কমন্সের অনেক ধরণের আছে, যেগুলো আপনাকে বিভিন্ন উপায়ে একটি কাজ ব্যবহার করার সুযোগ দেয়। এটি ব্যক্তির লাইসেন্সের উপর নির্ভর করে। কারণ প্রতিটি কাজের সাথে আপনি কী করতে পারবেন এবং কী করতে পারবেন না তার নিয়ম রয়েছে। নিচে কয়েকটি তালিকাভুক্ত উদাহরণ দেওয়া হলো। মূলত স্কেল শর্তাবলী প্রদান করে, আপনি বিভিন্ন উপায়ে কিছু পুনঃব্যবহার করতে পারেন, সাধারণত এটি শর্তাবলীতে বর্ণিত থাকে, যা ছোট মুদ্রণ নামেও পরিচিত।
'''পাবলিক ডোমেইন'''
পাবলিক ডোমেইন শব্দটি এমন সৃজনশীল উপকরণগুলোকে বোঝাতে ব্যবহৃত হয় যা সম্পত্তি আইন, কপিরাইট, ট্রেডমার্ক বা পেটেন্ট আইন দ্বারা সুরক্ষিত নয়। এই কাজগুলোর মালিক 'জনসাধারণ', কোনও একক ব্যক্তি নন। পাবলিক ডোমেইন উপকরণ ব্যবহারের জন্য অনুমতির প্রয়োজন নেই কারণ কেউ কখনও উপকরণের অধিকার দাবি করতে পারে না। <ref>[http://fairuse.stanford.edu/overview/public-domain/welcome/] , Copyright & Fair Use – Stanford University Libraries.</ref>
চারটি সাধারণ সম্ভাবনা রয়েছে যা উপকরণ বা পণ্যগুলোকে পাবলিক ডোমেইন করতে পারে: <ref>[http://fairuse.stanford.edu/overview/public-domain/welcome/] , Copyright & Fair Use – Stanford University Libraries (Extended).</ref>
* কপিরাইট মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে।
* কপিরাইট মালিক কপিরাইট নবায়ন নিয়মের পদ্ধতি সঠিকভাবে অনুসরণ করেননি।
* কপিরাইট মালিক ইচ্ছাকৃতভাবে একটি উপাদান বা পণ্য পাবলিক ডোমেইনে রাখেন।
* কপিরাইট আইন এই বিশেষ ধরণের উপাদানকে রক্ষা করতে পারে না।
কপিরাইট জনসাধারণের জন্য, যাতে তারা সফটওয়্যারটি ব্যবহার করতে পারে, কাজের অংশ... ইত্যাদি, যেমনটা তারা চায়। এর অর্থ হলো তারা এটি সম্পাদনা করতে এবং তাদের ইচ্ছামতো পুনরায় ব্যবহার করতে সক্ষম। এর একটি গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ হলো ওয়াল্ট ডিজনির মিকি মাউসের সৃষ্টি। মিকি মাউসের গ্রাফিক্স এবং ধারণাটি পাবলিক ডোমেইনে রয়েছে, অর্থাৎ বিবিসির মতো অন্যান্য সংস্থাগুলো যদি ইচ্ছা করে তবে এই ধারণাটি একটি স্কেচে ব্যবহার করতে পারে। এর মানে হলো, যদিও আমরা মিকি মাউসকে একটি কার্টুন শিশু ক্লাসিক হিসেবে যুক্ত করেছি, আমরা তাকে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের একটি স্কেচে দেখতে পাচ্ছি।
=== By ===
"By" আপনাকে একটি কাজকে আপনি যেভাবে চান তেমন করে রিমিক্স, সম্পাদনা এবং বিতরণ করার অনুমতি দেয়। তবে, আপনাকে বিবেচনা করতে হবে কাজটি কোথা থেকে এসেছে এবং মূল সৃষ্টিকারীর গুরুত্বকে স্বীকৃতি দিতে হবে।
'''Attribution'''
CC BY Attribution অন্যদের এমন কাজ বিতরণ, সম্পাদনা এবং যোগ করার সুযোগ দেয় যা ইতিমধ্যেই তৈরি করা হয়েছে, যতক্ষণ না তারা মূল লেখককে কৃতিত্ব দেয়। মূলত এটি সবচেয়ে সুবিধাজনক লাইসেন্স, যা আপনাকে আপনার প্রয়োজন অনুসারে নিবন্ধটি তৈরি করতে সক্ষম করে।
'''অ্যাট্রিবিউশন-শেয়ারঅ্যালাইক'''
CC BY-SA এই লাইসেন্সটি আপনাকে অ্যাট্রিবিউশন লাইসেন্সিংয়ের মতোই কাজ করার সুযোগ দেয়, তবে এটি কেবলমাত্র বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে সম্পন্ন করা হয় এবং তারা তাদের নতুন সৃষ্টিগুলোকে একই শর্তে ক্রেডিট এবং লাইসেন্স দেয়। অ্যাট্রিবিউশন- শেয়ারঅ্যালাইককে প্রায়ই 'কপিলেফট' ফ্রি এবং ওপেন সফটওয়্যার লাইসেন্স বলা হয়। উইকিপিডিয়া এই ধরণের লাইসেন্স ব্যবহার করে।
'''অ্যাট্রিবিউশন-নোডেরিভস'''
CC BY-ND এই লাইসেন্সটি বাণিজ্যিক এবং অ-বাণিজ্যিক উভয় ক্ষেত্রেই পুনর্বণ্টনের সুযোগ দেয়, যতক্ষণ না এটি অপরিবর্তিত এবং সম্পূর্ণরূপে আপনার কৃতিত্বের সাথে পাস করা হয়।
'''অ্যাট্রিবিউশন-অ-বাণিজ্যিক'''
CC BY-NC অ্যাট্রিবিউশন-শেয়ারঅ্যালাইকের অনুরূপ, এই লাইসেন্সটি আপনাকে কাজ যোগ করতে, পরিবর্তন করতে এবং নির্মাণ করতে সক্ষম করে, তবে তা বাণিজ্যিক নয় এমন পরিবেশেও। নতুন সৃষ্টিকর্মকে আপনার পরিবর্তন এবং অ-বাণিজ্যিক উপাদান স্বীকার করতে হবে, তবে এটি একই লাইসেন্সের অধীনে হতে হবে না।
'''অ্যাট্রিবিউশন-ননকমার্শিয়াল-শেয়ারঅ্যালাইক'''
CC BY-NC-SA অ্যাট্রিবিউশন-ননকমার্শিয়ালের মতো মূল পার্থক্য হলো যে আপনাকে একই শর্তে নতুন কাজের লাইসেন্স দিতে হবে।
'''অ্যাট্রিবিউশন-ননকমার্শিয়াল-নোডেরিভস'''
CC BY-NC-ND এই লাইসেন্সটি সবচেয়ে সীমাবদ্ধ, শুধুমাত্র অন্যদের আপনার কাজ ডাউনলোড করতে এবং অন্যদের সাথে শেয়ার করতে দেয় যতক্ষণ না তারা মূল লেখককে কৃতিত্ব দেয়।
'''প্রভাব'''
ব্রাউসার্ড ক্রিয়েটিভ কমন্সকে কপিলেফট আন্দোলনের অগ্রভাগে বলে বর্ণনা করেছেন, যা স্বয়ংক্রিয়ভাবে "সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত" কপিরাইটের একটি বিকল্প প্রদান করার চেষ্টা করছে (২০০৭)। বিকল্পভাবে, ডেভিড বেরি ক্রিয়েটিভ কমন্সকে বুদ্ধিজীবী সম্পত্তির বিষয়টিতে আগ্রহ তৈরি করার জন্য এবং "তথ্য যুগে" "কমন্স" এর ভূমিকা পুনর্বিবেচনা করার জন্য কৃতিত্ব দেন, তিনি বলেন "ক্রিয়েটিভ কমন্সে এমন প্রতিষ্ঠানিক, ব্যবহারিক এবং আইনগত সহায়তা রয়েছে যা افراد এবং গোষ্ঠীগুলোকে সংস্কৃতি নিয়ে আরও স্বাধীনভাবে পরীক্ষাগুলো এবং যোগাযোগ করতে চায়।" (বেরি, ডি, ২০০৫)। লেস্টিগ, অন্যদিকে আধুনিক সংস্কৃতিকে ঐতিহ্যবাহী কনটেন্ট বিতরণকারীদের দ্বারা আধিপত্যে ছিল বলে বর্ণনা করেছেন, সাংস্কৃতিক পণ্য যেমন সঙ্গীত এবং সিনেমার উপর মনোপলি বজায় রাখতে বা বৃহত্তর করতে, তিনি বলেছেন "ক্রিয়েটিভ কমন্স এই বিধিনিষেধগুলোর বিকল্প দিতে পারে" (লেস্টিগ, ২০০৬)।
== ওপেন সোর্স এবং মালিকানাধীন সফটওয়্যারের উদাহরণ ==
=== ইউনিক্স এবং জিএনইউ ===
[http://www.unix.org/ ইউনিক্স] ১৯৬৯ সালে বেল ল্যাবসে তৈরি করা হয়েছিল এবং এটি কম্পিউটিং ইতিহাসের প্রাচীনতম অপারেটিং সিস্টেমগুলোর মধ্যে একটি। এটিই সেই ভিত্তি যার উপর Mac OS X নির্মিত। এটি অনেকগুলো ভিন্ন মেশিনে চালানো যেতে পারে, এবং UNIX কম্পিউটারগুলো নেটওয়ার্কগুলোতে একসাথে কাজ করতে পারে। ইউনিক্স ছিল একটি মালিকানাধীন সিস্টেম কারণ বেল ল্যাবস কপিরাইট সুরক্ষিত রেখেছিল যাতে এটি একটি বন্ধ সিস্টেম ছিল যা ভাগ করা যেত না। একটি সিস্টেমে কাজ করার জন্য UNIX কোডটি সোর্স কোড বই থেকে ম্যানুয়ালি প্রবেশ করতে হত, যা আজ আমাদের কাছে অত্যন্ত অদক্ষ বলে মনে হয়।
ওপেন সোর্স নেটওয়ার্কের উন্নয়নে রিচার্ড স্টলম্যান ছিলেন মৌলিক ভূমিকা পালনকারী। তিনি UNIX কে আরও ভাগ করে নেওয়ার যোগ্য উন্মুক্ত সিস্টেমে রূপান্তর করতে চেয়েছিলেন। ১৯৮৪ সালে তিনি [http://www.fsf.org/ ফ্রি সফটওয়্যার ফাউন্ডেশন] (FSF) তৈরি করেন। FSF-এর মূল লক্ষ্য ছিল সফটওয়্যারকে আরও উন্মুক্ত এবং অ্যাক্সেসযোগ্য করে তোলা, ঠিক যেমন প্রাথমিক কম্পিউটিং বুদ্ধিমত্তা এবং বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার ভাগ করে নেওয়ার উপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। স্টলম্যান GNU ("GNU is not UNIX") আবিষ্কার করেন UNIX কে নতুনভাবে পুনর্নির্মাণ করে যাতে এটি উন্মুক্ত এবং ভাগ করে নেওয়া যায়, যাতে ব্যবহারকারীরা তাদের ইচ্ছামত কোডটি মানিয়ে নিতে এবং পরিবর্তন করতে পারে। GNU যে কোনও সিস্টেমে চলতে সক্ষম ছিল যা ইতিমধ্যেই UNIX সমর্থন করে। স্টলম্যান GNU-কে একটি নতুন সিস্টেমের অধীনে লাইসেন্স দিয়েছিলেন যার নাম জেনারেল পাবলিক লাইসেন্স (GPL, যা "কপিলেফট" নামেও পরিচিত) যাতে GNU-কে মালিকানাধীন সফটওয়্যারে পরিণত হতে না পারে।
=== লিনাক্সের সাফল্য ===
লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেম একটি ওপেন সোর্স প্রকল্পের একটি গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ যা ক্রমশ শক্তিশালী হচ্ছে। এই প্রকল্পের সহযোগিতার সম্ভাবনাগুলো নিজেই নেটওয়ার্কের শক্তির প্রতিনিধিত্ব করে। কারণ এর প্রাথমিক পর্যায়ে যখন খুব কম অবদানকারী অংশগ্রহণ করছিলেন তখনও তাদের সারা বিশ্বে পাওয়া যেত। এই ব্যবস্থার সাফল্যের পেছনে অনেকগুলো কারণ রয়েছে, যেমন সম্পত্তির অধিকারের প্রতি বিশেষ দৃষ্টিভঙ্গি যা এর লাইসেন্স গঠন করে। লিনাক্সের [[গ্নু জেনারেল পাবলিক লাইসেন্স|জেনারেল পাবলিক লাইসেন্স]] (GPL) সিস্টেমের ক্রমাগত উন্নয়নকে এর উপর ভিত্তি করে তৈরি হিসেবে স্বীকৃতি দেয়, তবে এটি পুনর্বণ্টনের সময় এর উপর কোনও বিধিনিষেধ আরোপের সুযোগ দেয় না। এটি বার্কলে সফটওয়্যার ডিস্ট্রিবিউশন (BSD) লাইসেন্সের একটি বিকল্প, যা প্রোগ্রামারদের সিস্টেম উন্নত করার জন্য একই স্বাধীনতা প্রদান করে না।
লিনাক্সের সাফল্যের আরেকটি কারণ হলো প্রকল্পের জন্য অব্যাহত, ঐক্যবদ্ধ সমর্থন, যা প্রকল্প নেতাদের দ্বারা গৃহীত সিদ্ধান্ত এবং নিয়ম প্রত্যাখ্যান করার ঝুঁকি সম্পর্কে বোঝার কারণে। যারা প্রস্তাবিত কোড পরিবর্তন গ্রহণ করতে ব্যর্থ হন, তাদের জন্য প্রাথমিক প্রকল্প থেকে আলাদা হয়ে তাদের পরিবর্তনগুলো বাস্তবায়িত করে একটি নতুন প্রকল্প স্থাপন করার সুযোগ রয়েছে, যাকে "ফর্কিং" বলা হয়। <ref>Weber, S. (2004). ''Success of Open Source.'' Cambridge: Harvard University Press, p.64</ref> যদিও কিছু ডেভেলপার এটিকে ওপেন সোর্স প্রোগ্রামিংয়ের একটি অপরিহার্য অধিকার হিসেবে দেখেন, তবুও এই প্রক্রিয়ায় ঝুঁকি রয়েছে। লিনাক্সের ক্ষেত্রে, প্রলিফিক ফর্কিং কর্মীদের বিভক্ত করার এবং সামগ্রিক উৎপাদনশীলতা হ্রাস করার ঝুঁকি বহন করে। অধিকন্তু, আরও প্রকল্পের সাথে সাথে একটি প্রকল্পে উল্লেখযোগ্য সমস্যা দেখা দেওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে, যা প্রতিটি প্রকল্পের উপর খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে, ফর্কিংয়ের মাধ্যমে উদ্ভূত প্রকল্প থেকে শুরু করে প্রাথমিক প্রকল্প পর্যন্ত। <ref>Weber, S. (2004). ''Success of Open Source.'' Cambridge: Harvard University Press, p.159</ref> দক্ষতা এবং উৎপাদনশীলতার এই ভাঙ্গনের ফলে বেশ কয়েকটি প্রকল্প, সম্ভবত সবগুলোই ব্যর্থ হতে পারে। লিনাক্সের দীর্ঘ জীবনকাল এবং অব্যাহত, দীর্ঘমেয়াদী সহযোগিতার সম্ভাবনা উপরে উল্লিখিত ঝুঁকিগুলোর জন্য ঝুঁকি নেওয়ার প্রবণতাকে নিরুৎসাহিত করে, তাই এটি এখনও পর্যন্ত এটির অভিজ্ঞতা লাভ করেনি। <ref>Weber, S. (2004). ''Success of Open Source.'' Cambridge: Harvard University Press, p.159</ref>
ওপেন সোর্স ফরম্যাটের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সুবিধা থেকে লিনাক্সও উপকৃত হয়। ঐতিহ্যবাহী মালিকানাধীন ব্যবস্থায়, প্রত্যেকের কাছ থেকে প্রায় সমান পরিমাণে কাজের অবদান আশা করা হয়। তবে ওপেন সোর্সে, অবদানকারীদের একটি ছোট শতাংশের জন্য কাজের একটি বড় অংশ সম্পাদন করা সাধারণ, এবং বিপুল সংখ্যক অপ্রাপ্তবয়স্ক অবদানকারীদের জন্য কেবল এক বা দুটি অবদান রাখা স্বাভাবিক। তবুও, জর্ডান যুক্তি দেন যে একটি ওপেন সোর্স প্রকল্পের প্রেক্ষাপটে, একজন ব্যক্তি এমন একটি কাজ সম্পন্ন করতে পারেন যা অন্যথায় সম্পন্ন নাও হতে পারে। যদি একজন ব্যক্তি মাত্র একটি অবদানের মাধ্যমেও গ্রুপ প্রকল্পের উন্নতি করেন, তাহলে সকলেই আরও ভালো পণ্য পেয়ে উপকৃত হবেন।
পরিসংখ্যান থেকে জানা যায় যে ইন্টারনেটের ৩৬.২% ওয়েবসাইট লিনাক্স ব্যবহার করে। এরিকের মতে, লিনাক্স একটি বিকেন্দ্রীভূত উন্নয়ন পদ্ধতি [http://www.fao.org/docs/up/easypol/342/decen_dev_in_agri_012en.pdf] গ্রহণ করেছে। "ক্যাথেড্রাল অ্যান্ড দ্য বাজার" এবং অনুরূপ কাজে এস রেমন্ডের পরীক্ষা। এই পদ্ধতির ফলে অবদানকারীরা একটি সংবেদনশীলহীন সাংগঠনিক কাঠামোর মধ্যে ক্রমাগত কাজ করতে সক্ষম হন। লিনাক্সের অপারেটিং সিস্টেমের বৈশিষ্ট্যগুলোও এর সাফল্য বিশ্লেষণ করার সময় বিবেচনা করার মতো আরেকটি সম্ভাব্য কারণ। লিনাক্স এবং ইউনিক্সের মতো অন্যান্য অপারেটিং সিস্টেমের মধ্যে প্রযুক্তিগত বৈপরীত্য রয়েছে যা লিনাক্সের সাফল্য নিয়ে আলোচনা করার সময় মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ। একটি নির্দিষ্ট উৎস অনুসারে, কার্নেলের গণিত কোপ্রসেসর ব্যবহার না করেই 387-FPU নির্দেশাবলী এবং সিস্টেম অনুকরণ করার ক্ষমতা রয়েছে এবং একাধিক প্রোগ্রাম চালানোর ক্ষমতা রয়েছে যার জন্য ফ্লোট-পয়েন্ট গণিত ক্ষমতার একটি স্তর প্রয়োজন। লিনাক্স ডেটা স্টোরেজের জন্য বিভিন্ন ফাইল সিস্টেম সমর্থন করে, এবং ext2 ফাইল সিস্টেমের মতো। এটি বিশেষভাবে লিনাক্সের জন্য তৈরি করা হয়েছিল।
=== অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস ===
==== অ্যান্ড্রয়েডের উন্নয়ন ====
[[চিত্র:Android_robot.png|থাম্ব| অ্যান্ড্রয়েড লোগো]]
২০০৭ সালের ৫ নভেম্বর তারিখে গুগলের মোবাইল ফোন অপারেটিং সিস্টেম [[Android(operating system)|অ্যান্ড্রয়েড]] সর্বজনীনভাবে আত্মপ্রকাশ করে। এর বিশ্বব্যাপী প্রবর্তন [[ওপেন হ্যান্ডসেট অ্যালায়েন্স|ওপেন হ্যান্ডসেট অ্যালায়েন্সের]] সৃষ্টি এবং প্রবর্তনের সাথেও সম্পর্কিত। কোম্পানিগুলোর একটি কনসোর্টিয়াম যারা তাদের পণ্যগুলোতে নতুন তৈরি অ্যান্ড্রয়েড সফটওয়্যার প্রয়োগ করে। কনসোর্টিয়ামটি জনসমক্ষে প্রকাশিত হওয়ার সময় এর ৩৪ সদস্যের তালিকায় টি-মোবাইল, [[স্যামসাং ইলেকট্রনিক্স]], [[এইচটিসি]] এবং [[সনি|সনির]] মতো কোম্পানিগুলো অন্তর্ভুক্ত ছিল। পরবর্তী বছরগুলোতে, [[তোশিবা]], এসার এবং [[ভোডাফোন|ভোডাফোনের]] মতো কোম্পানিগুলো যোগদানের সাথে সাথে সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। <ref>http://www.cnet.com/uk/news/googles-open-handset-alliance-gains-14-new-members/</ref> এই জোটটি ছিল গুগলের অ্যান্ড্রয়েডকে একটি উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যার হিসেবে বিকাশের সিদ্ধান্তের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপজাত।
রিচ মাইনার, [[অ্যান্ডি রুবিন]] এবং নিক সিয়ার্সকে সাধারণত অ্যান্ড্রয়েডের উদ্ভাবক হিসেবে কৃতিত্ব দেওয়া হয়। <ref>http://uk.businessinsider.com/how-android-was-created-2015-3?r=US&IR=T</ref> ২০০৫ সালে গুগল কর্তৃক কেনার আগে তারা একসাথে একটি ছোট কোম্পানি, Android.inc, হিসেবে অ্যান্ড্রয়েডে কাজ করেছিল। তাদের অধিগ্রহণের পর উপলব্ধ তহবিল বৃদ্ধি এবং প্রচুর নতুন সম্পদের আধিক্য উন্নয়ন প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে। দুই বছর পর প্রথম সর্বজনীনভাবে উপলব্ধ অ্যান্ড্রয়েড সফটওয়্যার তৈরি করা হয়। গুগল মূলত অ্যাপলের আইওএস-এর উন্নয়নের বিরোধিতা করে অপারেটিং সিস্টেমটি তৈরি করেছিল। ২০১০ সালে গুগলের আই/ও সম্মেলনের মূল বক্তৃতায়, গুগলের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট সোশ্যাল ভিক গুন্ডোত্রা দাবি করেছিলেন, "আমরা যদি পদক্ষেপ না নিই, তাহলে আমরা এক ভয়াবহ ভবিষ্যতের মুখোমুখি হব যেখানে একজন মানুষ, একজন ফোন, একজন ক্যারিয়ারই হবে ভবিষ্যৎ। এমন একটি ভবিষ্যৎ আমরা চাই না।" <ref>http://www.theatlantic.com/technology/archive/2013/12/the-day-google-had-to-start-over-on-android/282479/</ref>
অ্যান্ড্রয়েড প্রকাশের প্রায় এক বছর আগে, [[স্টিভ জবস]] ৯ জানুয়ারি, ২০০৭ তারিখে অ্যাপল আইফোন চালু করেছিলেন। গুগলের ভেতরে এই ঘোষণার প্রতিক্রিয়া ছিল অবাক করার মতো। গুগলের একজন কর্মচারী, ক্রিস ডিসালভো মন্তব্য করেছেন;<div align="center">
'''"একজন ভোক্তা হিসেবে আমি অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। আমি তাৎক্ষণিকভাবে একটি চাইছিলাম। কিন্তু একজন গুগল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে, আমি ভেবেছিলাম 'আমাদের নতুন করে শুরু করতে হবে। নব্বইয়ের দশকে আমরা যা হঠাৎ করে দেখেছিলাম তা এমন একটি জিনিস যা দেখলেই স্পষ্ট হয়ে ওঠে।"'''
</div>এই ঘোষণা অনুসারে অ্যান্ড্রয়েড ইঞ্জিনিয়ারদের দ্বারা তাড়াতাড়ি কিছু পরিবর্তন করা হয়। বিশেষ করে তাদের পণ্যে 'টাচস্ক্রিন' যুক্ত করা হয়। যদিও অ্যাপলের ঘোষণা অ্যান্ড্রয়ের আগে এসেছিল। এটি তাদের বাজারে সাময়িকভাবে লাভবান করতে সুবিধা দিয়েছিল। বিষয়টি অ্যান্ড্রয়েরডের একটি সুবিধাজনক অবস্থান হিসেবে দেখা হয়। কারণ এর ফলেঅ্যাপল কী মিস করেছে তা অ্যান্ড্রয়েরডের ইঞ্জিনিয়ারদেরকে দেখার সুযোগকরে দেয়।
অ্যান্ড্রয়েড ওপেন সোর্স সফটওয়্যার লিনাক্সের উপর ভিত্তি করে তৈরি। ফলে এর সোর্স কোড সকলের জন্য অ্যাক্সেসযোগ্য করে তোলে, অ্যান্ড্রয়েডের লিনাক্স পিসিতে আমরা যে লিনাক্স ব্যবহার করি তার থেকে ভিন্নভাবে কাজ করে। পিসির মতো অ্যান্ড্রয়েড লিনাক্স কার্নেল সংস্করণের একটি পরিবর্তিত সংস্করণ ব্যবহার করে।তবে একই সংস্করণ নয়। অ্যান্ড্রয়েডের জন্য লিনাক্স স্মার্টফোনের কথা মাথায় রেখে ডিজাইন করা হয়েছে ।তাই মূল কার্নেলে অন্যান্য সমন্বয়ের সাথে টাচ-স্ক্রিন প্রোগ্রামিং যোগ করা হয়েছে। নিচে কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপাদানের তালিকা দেওয়া হলো।
* অ্যালার্ম ড্রাইভার: ডিভাইসগুলোকে ঘুম থেকে জাগানোর জন্য টাইমার সরবরাহ করে
* Ashmem: অ্যাপ্লিকেশনগুলোকে মেমরি ভাগ করে নেওয়ার সুযোগ দেয় এবং কার্নেল স্তরে ভাগ করে নেওয়ার ব্যবস্থা করে।
* বাইন্ডার ড্রাইভার: আন্তঃ-প্রক্রিয়া যোগাযোগ সহজতর করে কারণ শেয়ার্ড মেমোরি ব্যবহারের মাধ্যমে একাধিক অ্যাপ্লিকেশন দ্বারা ডেটা ভাগ করা যায়। IPC হিসেবে নিবন্ধিত একটি পরিষেবা
পরিষেবা প্রদানকারীদের বিভিন্ন থ্রেড নিয়ে চিন্তা করতে হবে না কারণ বাইন্ডার সেগুলো পরিচালনা, পর্যবেক্ষণ এবং পরিচালনা করবে। বাইন্ডার প্রক্রিয়াগুলোর মধ্যে সিঙ্ক্রোনাইজেশনেরও যত্ন নেয়।
* পাওয়ার ম্যানেজমেন্ট: স্ট্যান্ডার্ড লিনাক্স পাওয়ার ম্যানেজমেন্ট (PM) এর উপরে তৈরি এবং
বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনা এবং সাশ্রয়ের জন্য আরও আক্রমণাত্মক নীতি গ্রহণ করুন। <ref>http://www.handycodeworks.com/wp-content/uploads/2011/02/linux_versus_android.pdf</ref>
গুগল কেন অ্যান্ড্রয়েডকে একটি ওপেন সোর্স অপারেটিং সিস্টেম বানিয়েছে তা বিতর্কের বিষয়। বিরোধীরা যুক্তি দেন যে সিদ্ধান্তটি মূলত আর্থিক ভিত্তিক ছিল। ওপেন সোর্স প্রযুক্তির লাভ-ভিত্তিক একাধিক সুবিধা রয়েছে, যা মূলত সিস্টেমের ব্যাপক জনপ্রিয়তার কারণে। এটি গুগলের নাগাল আরও বাড়িয়ে তোলে এবং তাদের ভোক্তা জনসংখ্যার পরিধি প্রসারিত করে। তবে তাদের ওয়েবসাইটে, অ্যান্ড্রয়েড ব্যাখ্যা করেছে কেন তারা একটি ওপেন সোর্স সিস্টেম ব্যবহার করে;
'''"অ্যান্ড্রয়েডের প্রাথমিক উদ্দেশ্য হলো ক্যারিয়ার, OEM এবং ডেভেলপারদের জন্য একটি উন্মুক্ত সফটওয়্যার প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা যাতে তারা তাদের উদ্ভাবনী ধারণাগুলোকে বাস্তবে রূপ দিতে পারে এবং একটি সফল, বাস্তব-বিশ্বের পণ্য প্রবর্তন করতে পারে যা ব্যবহারকারীদের জন্য মোবাইল অভিজ্ঞতা উন্নত করে। আমরা আরও নিশ্চিত করতে চেয়েছিলাম যে ব্যর্থতার কোনও কেন্দ্রীয় বিন্দু নেই, যেখানে একজন শিল্প খেলোয়াড় অন্য কারও উদ্ভাবনকে সীমাবদ্ধ বা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।"''' <ref>https://source.android.com/source/</ref>
==== আইওএসের উন্নয়ন ====
[[চিত্র:Steve_Jobs_presents_iPhone.jpg|থাম্ব| স্টিভ জবস আইফোন উপস্থাপন করছেন]]
অ্যাপলের মোবাইল ফোন অপারেটিং সিস্টেম, [[আইওএস]], যা পূর্বে ওএস নামে পরিচিত ছিল, ৯ জানুয়ারি, ২০০৭ সালে আইফোন প্রবর্তনের মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ করে। প্রথম আইফোনগুলো সেই গ্রীষ্মের পরে বিক্রি শুরু হবে। আইওএসের নকশা অ্যাপল ম্যাকিনটোশের অপারেটিং সিস্টেম ওএস এক্স-এর উপর ভিত্তি করে তৈরি। স্টিভ জবস কর্তৃক আইপড প্রোগ্রামিং এবং ম্যাকিনটোশ প্রোগ্রামিংয়ের মধ্যে একটি প্রতিযোগিতার পর এই সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে ম্যাকিনটোশ ভিত্তিক একটি সিস্টেমই সবচেয়ে উপযুক্ত। ম্যাকিনটোশ দলের নেতৃত্বে ছিলেন [[w:Scott Forstall|Scott Forstall}}, যাকে অ্যাপ স্টোর তৈরি এবং বিকাশের জন্য কৃতিত্ব দেওয়া হয়। <ref>http://www.bloomberg.com/news/articles/2011-10-12/scott-forstall-the-sorcerers-apprentice-at-apple</ref>
আইওএস একটি মালিকানাধীন অপারেটিং সিস্টেম এবং তাই এর সোর্স কোড অ্যাক্সেসযোগ্য বা পরিবর্তনযোগ্য নয়। অ্যাপলই একমাত্র কোম্পানি যার পণ্যে আইওএস ব্যবহারের সুযোগ এবং বৈধতা রয়েছে। অপারেটিং সিস্টেম পরিবর্তনের ক্ষেত্রে ব্যবহারকারীদের সীমিত অ্যাক্সেসের কারণে, জেলব্রেকিংয়ের প্রক্রিয়াটি জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে অ্যান্ড্রয়েডের মতো অপারেটিং সিস্টেমে বিরোধী সফটওয়্যারের উপাদান রয়েছে, এই ক্ষেত্রে ওপেন সোর্স। এমন দাবি করা হয়েছে যে স্টিভ জবস আসলে ওপেন সোর্সের একজন পথিকৃৎ ছিলেন। আইওএস-ভিত্তিক ম্যাক অপারেটিং সিস্টেমটি নিজেই ডারউইনের ওপেন সোর্স সফটওয়্যারের উপর ভিত্তি করে তৈরি। ডারউইন ২০০৩ সালে অ্যাপল দ্বারা একটি বিনামূল্যের এবং ওপেন সোর্স সফটওয়্যার লাইসেন্সের অধীনে প্রকাশিত হয়েছিল। অধিকন্তু, স্টিভ জবস দাবি করেছেন যে অ্যান্ড্রয়েড "আসলে তেমন খোলা নয়" তিনি উল্লেখ করেছেন যে কিছু মোবাইল ডিভাইস কোম্পানি যেমন HTC তাদের ইন্টারফেসে মালিকানাধীন সফটওয়্যার ব্যবহার করেছে। তিনি এতে অসন্তোষ প্রকাশ করেন কারণ এর ফলে ব্যবহারকারীদের নিজেরাই এটি সমাধান করতে হয়। এটিকে অ্যাপল মালিকানাধীন সফটওয়্যার বাস্তবায়নের অন্যতম কারণ হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে; ডিভাইসের ব্যবহারকারী-বান্ধবতা উন্নত করার জন্য।
অ্যান্ড্রয়েডের মতোই, যুক্তি দেওয়া হয় যে এই সিদ্ধান্তটি মূলত আর্থিক ভিত্তিক ছিল। সফটওয়্যারটির কপিরাইট করার মাধ্যমে তারা অন্যান্য কোম্পানিগুলোকে এটি ব্যবহার থেকে বিরত রাখে, তাই যারা ইন্টারফেসটি উপভোগ করেছেন তাদের অ্যাপল পণ্য কিনতে হবে। অ্যাপল স্বীকার করেছে যে অনলাইন সম্প্রদায়ের মধ্যে, বিশেষ করে হ্যাকার সম্প্রদায়ের মধ্যে, প্রোপ্রাইটারিকে অবজ্ঞা করা হয়, তাই তারা টাচস্ক্রিন এবং হোম বোতামের মতো নির্দিষ্ট উদ্ভাবনী বৈশিষ্ট্যগুলোর উপর IOS প্রকাশের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করেছে। মালিকানাধীন সমালোচকরা যুক্তি দেন যে ওপেন সোর্স সফটওয়্যার অ্যাপলের জন্য অনিবার্য। <ref>http://www.wired.com/2015/06/open-sourcing-no-longer-optional-not-even-apple/</ref> তাদের যুক্তি হলো, অ্যাপল যদি প্রতিটি নতুন সংস্করণের সাথে মালিকানার মাত্রা বৃদ্ধি করতে থাকে, তাহলে তারা তাদের জনপ্রিয় অ্যাপ্লিকেশনগুলোর বেশিরভাগের জন্য নির্ভরশীল ডেভেলপারদের বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার ঝুঁকিতে পড়বে। মাইক্রোসফটের লিনাক্সের সাম্প্রতিক গ্রহণযোগ্যতা অ্যাপলের উপর আরও চাপ সৃষ্টি করেছে কারণ মাইক্রোসফটের মালিকানাধীন সফটওয়্যারের সাথে দীর্ঘদিনের মৌলিক সম্পর্ক রয়েছে।
==== বিতর্কের ভূমিকা ====
বিপরীত অপারেটিং সিস্টেমগুলোকে ঘিরে বিতর্কের ব্যবহারিক এবং আদর্শিক উভয় দিক থেকেই গুরুত্ব রয়েছে। ব্যবহারিকতার বিষয়গুলো অনলাইন ফোরামগুলোতে প্রাধান্য পায় এবং প্রায়ই উভয়ের মধ্যে তুলনা করা হয়। ব্যবহারকারী-বান্ধবতা, গোপনীয়তা, নিরাপত্তা, কাস্টমাইজেবিলিটি এবং অ্যাপ্লিকেশনগুলো সরাসরি অপারেটিং সিস্টেমের প্রকৃতি দ্বারা প্রভাবিত হয়, তা মালিকানাধীন হোক বা ওপেন সোর্স। সাধারণ জনগণের কাছে এগুলো বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে হয়। কিন্তু কিছু মানুষের কাছে, বিশেষ করে হ্যাকার সম্প্রদায় এবং ইন্টারনেট কর্মীদের মধ্যে যারা আছেন তাদের কাছে, বিপরীত অপারেটিং সিস্টেমগুলো বিপরীত মতাদর্শের প্রতিনিধিত্ব করে। অ্যান্ড্রয়েডকে 'জনস্বার্থ' হিসেবে দেখা হয়, যেখানে আইওএস 'মানুষের স্বার্থের' প্রতিনিধিত্ব করে। মাইক্রোসফটের গবেষণা সমাজবিজ্ঞানী মার্ক এ. স্মিথ ব্যাখ্যা করেছেন কিভাবে এই দুটির মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখার প্রয়োজন। তিনি "মুক্ত রাইডার" ধারণাটি বর্ণনা করেছেন যারা জনসাধারণের কল্যাণে অবদান না রেখেই তা ব্যবহার করে। এই ধারণাটি বেশিরভাগ অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীদের জন্য প্রযোজ্য হবে যারা সোর্স কোড অ্যাক্সেস বা পরিবর্তন করেন না।
বিরোধী মতাদর্শের পাশাপাশি এটি বিরোধী [[বিবর্তন|বিবর্তনীয় ব্যাখ্যার]] প্রতিনিধিত্ব করে। এমন ধারণা রয়েছে যে প্রতিযোগিতাই ছিল বিবর্তনের একমাত্র চালিকা শক্তি। এটি আইওএস এবং মালিকানাধীন সফটওয়্যারকে সমাজের জন্য সাধারণত উপকারী হিসাবে ব্যাখ্যা করবে। এর বিরোধিতা করা হয় এই দাবির মাধ্যমে যে সহযোগিতা বিবর্তনের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক এবং বর্ধিত প্রাণীজগতেও এটি প্রতিনিধিত্ব করে। <ref>Rheingold, H. (2003). Smart mobs. Cambridge, MA: Perseus Pub. pg39</ref> লিনাক্সকে বর্ণনা করা হয়েছে, "ডেভেলপারদের দ্বারা প্রবর্তিত মিউটেশনের উপর এক ধরণের দ্রুত ডারউইনীয় নির্বাচন তৈরি করা।" "
অনেক দিক থেকেই অপারেটিং সিস্টেমের স্পষ্ট উল্লেখ ছাড়াই জনপ্রিয় বিতর্কটি ঘটেছে। দুটি সর্বাধিক জনপ্রিয় অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে তারা তাদের নিজস্ব ফ্যান ওয়েবসাইট এবং মিটআপের মাধ্যমে উৎসাহী ভক্তদের আকর্ষণ করেছে। সিস্টেমগুলো গুগল এবং অ্যাপলের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্বদের, যেমন স্টিভ জবসের সাথে সেলিব্রিটির লড়াইয়ে প্রবেশ করেছে, অপারেটিং সিস্টেমের চেয়ে বেশি বিখ্যাত হয়ে উঠেছে। নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক এরিক রোবেলস-অ্যান্ডারসন এবং অন্যান্যরা অ্যাপলকে একটি ' ধর্ম-সংস্কৃতি ' হিসেবে বর্ণনা করেছেন। <ref>http://www.techinsider.io/nyu-professor-says-apple-is-a-cult-2015-9</ref> এটিই ছিল 'ম্যাকহেডস' তথ্যচিত্রের ভিত্তি। অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস-এর এখন বিশাল সংখ্যক প্রতিষ্ঠিত ভক্ত রয়েছে যারা তাদের নিজ নিজ অপারেটিং সিস্টেমের প্রতি অনুগত এবং একে অপরের পণ্য কিনবে না <ref>http://www.telegraph.co.uk/technology/apple/10632787/iPhone-owners-admit-having-blind-loyalty-to-Apple.html</ref>
==== অ্যান্ড্রয়েডের সুবিধা এবং সমালোচনা ====
'''প্রাপ্যতা এবং সামঞ্জস্য'''
ব্যবহারকারীদের কাছে এর বিশাল প্রাপ্যতার জন্য অ্যান্ড্রয়েড ধারাবাহিকভাবে প্রশংসিত হয়, যা এর ওপেন সোর্স বৈশিষ্ট্যের প্রত্যক্ষ ফলাফল। অনেক কোম্পানি তাদের পণ্যে অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহার করে। এর ফলে গ্রাহকরা আইওএস পরিচালিত পণ্যের তুলনায় ফোন এবং ট্যাবলেটের একটি উল্লেখযোগ্য বিস্তৃত নির্বাচন থেকে পছন্দ করতে পারেন। বিপুল সংখ্যক অ্যান্ড্রয়েড প্রস্তুত ডিভাইসের কারণে পরবর্তীতে অ্যান্ড্রয়েড ৮০% এরও বেশি শেয়ার নিয়ে বাজারে আধিপত্য বিস্তার করতে সক্ষম হয়েছে। <ref>http://www.idc.com/prodserv/smartphone-os-market-share.jsp</ref> এটি সাধারণত (Apache Software License ২.০ (APL২.০), একটি বিনামূল্যের সফটওয়্যার লাইসেন্সের অধীনে পরিচালিত লাইসেন্সের কারণে, নির্মাতারা তাদের নিজস্ব স্পেসিফিকেশন অনুসারে সোর্স কোড পরিবর্তন করতে পারে। <ref>http://www.idc.com/prodserv/smartphone-os-market-share.jsp</ref> এইভাবে অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীরা নির্মাতার উপর নির্ভর করে ভিন্ন অভিজ্ঞতা পেতে পারেন। এটি বৈচিত্র্য এবং পছন্দ বৃদ্ধির কারণে উপকারী বলে মনে করা হয়, তবে বিভিন্ন অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং ডিভাইসের মধ্যে মানের বৈষম্যের জন্য এটি সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছে।
'''কাস্টমাইজেবিলিটি'''
অ্যান্ড্রয়েডে, কাস্টমাইজেশনকে প্রকাশ্যে উৎসাহিত করা হয় এবং তাই এটি অনেক হ্যাকারের কার্যত পছন্দ। কাস্টমাইজেশনের এই সুযোগটি ব্যাপক, যেখানে ব্যবহারকারীরা আরও জটিল কাজ করতে পারবেন, যেমন সোর্স কোডে অবদান রাখা এবং প্রচলিত কাস্টমাইজেশনের ত্রুটিগুলো সনাক্ত করা, যেমন টোয়াইলাইট এবং এয়ারড্রয়েডের মতো অ্যাপ ইনস্টল করা এবং অ্যাপ আইকন পরিবর্তন করা। সোর্স কোডটি উপলব্ধ এবং ব্যবহারকারীদের ইচ্ছানুযায়ী ব্যবহার করার জন্য প্রস্তুত। কাস্টমাইজেশনের সাথে এর ইতিবাচক প্রভাবের দুটি ধারণা রয়েছে; অভ্যন্তরীণ এবং বাহ্যিক। অভ্যন্তরীণ বলতে ব্যবহারকারীর নিজস্ব কাস্টমাইজেশন সম্পাদনের মাধ্যমে অর্জিত সন্তুষ্টি বোঝায়, অন্যদিকে বহির্মুখী বলতে কাস্টমাইজেশনের ফলে হওয়া উন্নতির মাধ্যমে ব্যবহারকারীর সন্তুষ্টি বোঝায় ঠিক যেমন আপনি অ্যাপ ডিজাইন করতে এবং [[গুগল প্লে|গুগল প্লে স্টোরে]] অফার করতে সক্ষম হন, আপনি স্টোরের সোর্স কোডও পরিবর্তন করতে পারেন। এই উন্মুক্ততার ফলে অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ ডাউনলোডের সংখ্যা আইওএস-এর চেয়ে বেশি হয়ে গেছে, যদিও এটি অ্যান্ড্রয়েড এবং অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ ডেভেলপারদের উপর একটি বড় নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে: রাজস্ব হ্রাস। গুগল প্লে অ্যাপলের [[App store (IOS)|অ্যাপ স্টোরের তুলনায় ৭০% কম আয় করে।]]
'''ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা'''
অ্যান্ড্রয়েডের সাথে সঠিক ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা নির্মাতাদের মূল সোর্স কোডের পরিবর্তনের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হয়, যদিও প্রযুক্তি সম্প্রদায়ে সাধারণীকরণ করা যেতে পারে এবং করা হয়েছে। অ্যান্ড্রয়েডের খ্যাতি আইওএসের মতো 'পরিষ্কার' না হওয়া এবং 'খাটো' হওয়ার জন্য ওপেন সোর্স উৎসের কারণে, এর নকশাটি তার প্রতিযোগীর মতো পরিশীলিত বলে বিবেচিত হয় না এবং 'কার্টুনিশ' হওয়ার জন্য আরও সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছে। অন্যান্য অপারেটিং সিস্টেমের সাথে অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতার তুলনা করে করা একটি জরিপে দেখা গেছে যে এটি IOS এর তুলনায় কম স্কোর করেছে (৫৭.২৫ থেকে ৭৩.২৫) ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো প্রাথমিকভাবে ব্যবহারের সহজতা, বিশেষ করে একজন অ-প্রযুক্তিগত ব্যবহারকারীর জন্য। আরেকটি জরিপে দেখা গেছে যে অ্যান্ড্রয়েডের জ্ঞানীয় লোড সবচেয়ে বেশি, সংশ্লিষ্ট IOS এর তুলনায় চার গুণ বেশি। ধারণা করা হচ্ছে,অ্যান্ড্রয়েড স্বাভাবিকভাবে ব্যবহার করতে আইওএসের তুলনায় বেশি সময় নেয়।
'''গোপনীয়তা'''
অ্যান্ড্রয়েড বিজ্ঞাপন লাইব্রেরিগুলোর উপর গবেষণায় দেখা গেছে যে বিজ্ঞাপনগুলো ব্যবহারকারীর অবস্থান, পরিচিতি, ফোন নম্বর সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহ করতে পারে এবং এমনকি ক্যামেরা এবং মাইক্রোফোনেও অ্যাক্সেস পেতে পারে এটি বিজ্ঞাপনগুলোকে সংগৃহীত তথ্যের উপর ভিত্তি করে তাদের ব্যবহারকারীকে আরও ভালভাবে লক্ষ্য করতে দেয়। যখন কোনও বিজ্ঞাপন আপনার নাম, ঠিকানা এবং সহযোগীদেরও শনাক্ত করতে সক্ষম হয়, তখন এটি আরও গুরুতর গোপনীয়তার সমস্যা হয়ে উঠতে পারে। এটি অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস প্ল্যাটফর্মের জন্য একটি সমস্যা। দেখা গেছে যে গ্রাহকরা প্রায়ই ডিফল্ট গোপনীয়তা বিকল্পগুলোতে সম্মতি জানান। এর ফলে গোপনীয়তা কর্মীরা 'অপ্ট ইন' বৈশিষ্ট্যের জন্য প্রচারণা চালাচ্ছেন, যেমনটি ইইউতে দেখা যায়। এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা একটি বিজ্ঞাপনের অ্যাক্সেস সম্পর্কে আরও স্বচ্ছ ধারণা দিচ্ছেন। যদিও অ্যাপের গোপনীয়তার স্পেসিফিকেশনের জন্য অ্যান্ড্রয়েড সমালোচিত হয়েছে, তবুও অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস উভয়কেই এই আইনগুলো মেনে চলতে হবে। এটি ব্যবহারকারীকে অ্যাপের গোপনীয়তা চুক্তি গ্রহণ বা প্রত্যাখ্যান করার সুযোগ দেয় কিন্তু পরবর্তী সময়ে এতে কোনও পরিবর্তন আনে না। বিপরীতে, IOS ব্যবহারকারীকে গোপনীয়তা চুক্তি গ্রহণের পরে একটি অ্যাপের নির্দিষ্ট অ্যাক্সেস নিষ্ক্রিয় করার সুযোগ দেয়, যেমন ক্যামেরা অ্যাক্সেস নিষ্ক্রিয় করা।
'''ওয়েব ব্রাউজার'''
অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীকে তাদের পছন্দের ডিফল্ট ওয়েব ব্রাউজার নির্ধারণ করতে দেয়। এটি গুগল প্লে স্টোর থেকে একটি তৃতীয় পক্ষের অ্যাপ অধিগ্রহণের মাধ্যমে করা হয় তবে অ্যান্ড্রয়েডের অ্যাপল-বিকশিত ব্রাউজার [[সাফারি (ওয়েব ব্রাউজার)|সাফারিতে]] অ্যাক্সেস নেই; আইওএসের তুলনায় ব্যবহারকারীদের তাদের পছন্দের ব্রাউজারটি সম্পূর্ণরূপে পরিবর্তন করার সুযোগ দেওয়ার জন্য অ্যান্ড্রয়েড প্রশংসিত হয়েছে, যেখানে সাফারি অন্তর্নির্মিত এবং আনইনস্টল করা যায় না।
'''প্রাপ্যতা এবং সামঞ্জস্য'''
IOS উপলব্ধ এবং শুধুমাত্র Apple পণ্যের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এই বৈশিষ্ট্যটি সমালোচিত হয়েছে কারণ এর অর্থ হলো অ্যাপ স্টোর এবং গুগল প্লে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়, তাই ব্যবহারকারীরা অ্যাপগুলোতে একই স্তরের অ্যাক্সেস পান না। যদিও অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম ওপেন সোর্স, গুগল প্লে নয়। শুধুমাত্র অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীরা এটি ব্যবহার করতে পারবেন। আইওএসের বাজার শেয়ার ১৩.৯। % <ref>http://www.idc.com/prodserv/smartphone-os-market-share.jsp</ref> মানে IOS ব্যবহারকারীরা সংখ্যালঘু।
'''কাস্টমাইজেবিলিটি'''
IOS সোর্স কোড কোনওভাবেই ব্যবহারকারীর জন্য কাস্টমাইজযোগ্য নয়। এটি অনেককে ক্ষুব্ধ করেছে এবং জেলব্রেকিংয়ের এখন সাধারণ এবং আইনত অস্পষ্ট প্রথার দিকে পরিচালিত করেছে। এই অনুশীলনের মধ্যে রয়েছে [[ডিজিটাল অধিকার ব্যবস্থাপনা|ডিজিটাল রাইটস ম্যানেজমেন্ট (DRM)]] বিধিনিষেধ উপেক্ষা করা এবং সফটওয়্যার পরিবর্তন করা। এটি মূলত "একটি পরিবর্তিত কার্নেল প্যাচ সেট (কার্নেল অপারেটিং সিস্টেমের তত্ত্বাবধায়ক) ইনস্টল করার প্রক্রিয়া যা আপনাকে স্বাক্ষরবিহীন কোড চালানোর সুযোগ দেয়" হিসাবে ভাবা যেতে পারে। অ্যাপল উন্নত আপডেটের মাধ্যমে জেলব্রেকিং সীমিত করার চেষ্টা করেছে। অ্যাপলের সাপোর্ট পেজে জেলব্রেকিংয়ের অসুবিধাগুলো ব্যাখ্যা করা হয়েছে;
* নিরাপত্তা দুর্বলতা: আপনার ডিভাইস জেলব্রেক করলে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য এবং আপনার iOS ডিভাইস সুরক্ষিত রাখার জন্য তৈরি নিরাপত্তা স্তরগুলো দূর হয়ে যায়। আপনার iOS ডিভাইস থেকে এই নিরাপত্তা ব্যবস্থা সরিয়ে ফেলা হলে, হ্যাকাররা আপনার ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করতে পারে, আপনার ডিভাইসের ক্ষতি করতে পারে, আপনার নেটওয়ার্ক আক্রমণ করতে পারে, অথবা ম্যালওয়্যার, স্পাইওয়্যার বা ভাইরাস প্রবেশ করাতে পারে।
* অস্থিরতা: ডিভাইসের ঘন ঘন এবং অপ্রত্যাশিত ক্র্যাশ, বিল্ট-ইন অ্যাপ এবং থার্ড-পার্টি অ্যাপের ক্র্যাশ এবং ফ্রিজ, এবং ডেটা হারানো।
* ব্যাটারির আয়ু কমে গেছে: হ্যাক করা সফটওয়্যারটির কারণে ব্যাটারি দ্রুত শেষ হয়ে গেছে, যা একবার ব্যাটারি চার্জ করলেই আইফোন, আইপ্যাড বা আইপড টাচের কাজকর্ম কমিয়ে দেয়।
* অবিশ্বস্ত ভয়েস এবং ডেটা: কল বন্ধ, ধীর বা অবিশ্বস্ত ডেটা সংযোগ, এবং বিলম্বিত বা ভুল অবস্থান ডেটা।
* পরিষেবার ব্যাঘাত: ভিজ্যুয়াল ভয়েসমেইল, আবহাওয়া এবং স্টকের মতো পরিষেবাগুলো ডিভাইসে ব্যাহত হয়েছে অথবা আর কাজ করছে না। এছাড়াও, অ্যাপল পুশ নোটিফিকেশন সার্ভিস ব্যবহারকারী তৃতীয় পক্ষের অ্যাপগুলোর বিজ্ঞপ্তি পেতে অসুবিধা হয়েছে অথবা এমন বিজ্ঞপ্তি পেয়েছে যা অন্য কোনও হ্যাক করা ডিভাইসের জন্য তৈরি। [[আইক্লাউড|iCloud]] এবং Exchange-এর মতো অন্যান্য পুশ-ভিত্তিক পরিষেবাগুলো তাদের নিজ নিজ সার্ভারের সাথে ডেটা সিঙ্ক্রোনাইজ করতে সমস্যায় পড়েছে।
* ভবিষ্যতে সফটওয়্যার আপডেট প্রয়োগ করতে অক্ষমতা: কিছু অননুমোদিত পরিবর্তন iOS-এর এমন ক্ষতি করেছে যা মেরামতযোগ্য নয়। এর ফলে ভবিষ্যতে অ্যাপল-সরবরাহকৃত iOS আপডেট ইনস্টল করার সময় হ্যাক হওয়া আইফোন, আইপ্যাড, বা আইপড টাচ স্থায়ীভাবে অকার্যকর হয়ে যেতে পারে।
'''ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা'''
আইওএস-এর ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতার জন্য অ্যাপল মূলত প্রশংসিত হয়েছে। এটি 'নান্দনিক অখণ্ডতা' এবং 'ধারাবাহিকতা' নীতির উপর নির্ভর করে অ্যাপল উল্লেখ করেছে যে নান্দনিকতার সাথে এটি সৌন্দর্য সম্পর্কে খুব বেশি কিছু নয় বরং, "একটি অ্যাপের চেহারা এবং আচরণ কতটা ভালোভাবে তার কার্যকারিতার সাথে একটি সুসংগত বার্তা পাঠায় তা বোঝায়।" "আইওএস-এর অ্যাপ স্টোরে অ্যান্ড্রয়েডের গুগল প্লে-এর তুলনায় কঠোর নির্দেশিকা রয়েছে।" এটি ইতিবাচক নাকি নেতিবাচক বৈশিষ্ট্য তা নিয়ে মতবিরোধ রয়েছে। IOS-এর 'ধারাবাহিকতা' নীতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ, সমস্ত অ্যাপই মানুষের দ্বারা পর্যালোচনা করা হয়, সম্প্রতি অ্যান্ড্রয়েডও এই বৈশিষ্ট্যটি গ্রহণ করেছে। এটিকে আইওএসের কঠোর নির্দেশিকাগুলো ইতিবাচক বলে গ্রহণযোগ্যতা হিসেবে দেখা হচ্ছে।
'''ওয়েব ব্রাউজার'''
গুগল ক্রোম এবং ফায়ারফক্সের মতো একাধিক ওপেন সোর্স ওয়েব ব্রাউজার আইওএস সহ অ্যাপ স্টোর থেকে ডাউনলোডের জন্য উপলব্ধ। তবে Safari হলো বিল্ট-ইন ইন্টারনেট ব্রাউজার, এবং তাই, খোলা যেকোনো লিঙ্ক Safari তে পুনঃনির্দেশিত হবে ব্যবহারকারীদের দ্বারা Safari প্রশংসিত এবং সমালোচিত উভয়ই হয়েছে। অ্যাপল তার ব্রাউজারগুলো (সাফারি, ক্রোম, ফায়ারফক্স ইত্যাদি) ওয়েবকিট তে চালায় তাই গতি ধারাবাহিকভাবে বেশি থাকে। 'ট্র্যাক করবেন না' বৈশিষ্ট্যটি সমর্থন করার জন্য সাফারিও প্রশংসিত হয়েছে। স্মার্টফোনের গোপনীয়তা নিয়ে উদ্বিগ্ন ব্যক্তিদের জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি বিজ্ঞাপনদাতাদের অনলাইনে আপনার ট্র্যাক করা বন্ধ করে দেয়। তবে আইওএসের মালিকানাধীন প্রকৃতির কারণে, তারা অন্যান্য ওয়েব ব্রাউজারগুলোতে এই ফাংশনের প্রাপ্যতা সীমিত করেছে, তাদের সাফারি ব্যবহারে রাজি করার একটি ধারণাগত প্রচেষ্টা হিসেবে। তৃতীয় পক্ষের ব্রাউজারগুলোতে IOS-এর আরও অনেক বিধিনিষেধ রয়েছে। যেহেতু Safari iOS-এ অন্তর্নির্মিত, তাই সিস্টেম ক্র্যাশ বিশ্বব্যাপী একাধিক ডিভাইসের বেশিরভাগ IOS ব্যবহারকারীকে প্রভাবিত করবে। ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে এই ঘটনাটি ঘটেছিল যখন কোনও ব্যবহারকারী অ্যাড্রেস বারে কিছু অনুসন্ধান করলে একটি বাগ সাফারি ক্র্যাশ করে
==== অ্যান্ড্রয়েড প্ল্যাটফর্ম নিরাপত্তা ====
'''অ্যান্ড্রয়েড নিরাপত্তা প্রতিশ্রুতি'''
অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল প্ল্যাটফর্মের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ এবং ব্যবহারযোগ্য অপারেটিং সিস্টেম হতে চায়, ঐতিহ্যবাহী অপারেটিং সিস্টেমের নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রণগুলোকে পুনঃউদ্দেশ্য দিয়ে:
* ব্যবহারকারীর ডেটা সুরক্ষিত করুন
* সিস্টেম রিসোর্স (নেটওয়ার্ক সহ) সুরক্ষিত করুন
* অ্যাপ্লিকেশন আইসোলেশন প্রদান করুন
এই লক্ষ্যগুলো অর্জনের জন্য, অ্যান্ড্রয়েড এই গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্যগুলো প্রদান করে:
* লিনাক্স কার্নেলের মাধ্যমে অপারেটিং সিস্টেম স্তরে শক্তিশালী নিরাপত্তা
* সকল অ্যাপ্লিকেশনের জন্য বাধ্যতামূলক অ্যাপ্লিকেশন স্যান্ডবক্স
* নিরাপদ আন্তঃপ্রক্রিয়া যোগাযোগ
* আবেদনপত্র স্বাক্ষর
* অ্যাপ্লিকেশন-সংজ্ঞায়িত এবং ব্যবহারকারী-প্রদত্ত অনুমতি
'''অ্যান্ড্রয়েড নিরাপত্তা সমালোচনা'''
অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ্লিকেশনগুলো একটি স্যান্ডবক্সে চলে, যা সিস্টেমের একটি বিচ্ছিন্ন এলাকা যেখানে সিস্টেমের বাকি সংস্থানগুলোতে অ্যাক্সেস থাকে না, যদি না অ্যাপ্লিকেশনটি ইনস্টল করার সময় ব্যবহারকারী দ্বারা স্পষ্টভাবে অ্যাক্সেসের অনুমতি দেওয়া হয়। যদিও, Felt & Chin (২০১২) এর পর্যবেক্ষণ অনুযাতী, "'স্যান্ডবক্সিং' এবং অনুমতি ব্যবস্থা অ্যাপ্লিকেশনগুলোতে দুর্বলতা এবং বাগের প্রভাব কমায়। কিন্তু ডেভেলপারদের বিভ্রান্তি এবং সীমিত ডকুমেন্টেশনের ফলে অ্যাপ্লিকেশনগুলো নিয়মিতভাবে অপ্রয়োজনীয় অনুমতির অনুরোধ করে। এর ফলে এর কার্যকারিতা হ্রাস পায়"। এর উপরে, এটিও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে যে অ্যান্ড্রয়েডের ফ্র্যাগমেন্টেশন নিরাপত্তার জন্যও একটি সমস্যা। কারণ মূল অপারেটিং সিস্টেমে পাওয়া বাগের প্যাচগুলো প্রায়ই পুরানো এবং কম দামের ডিভাইসের ব্যবহারকারীদের কাছে পৌঁছায় না (কিংসলে-হিউজেস, ২০১৫)। অধিকন্তু, কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় দুর্বলতার উপর গবেষণা চালিয়েছে, যেখানে তারা এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে যে "বিক্রেতাদের প্যাচ এবং আপডেট সহ পুরানো ডিভাইসগুলোকে সমর্থন করতে ব্যর্থতার ফলে সক্রিয় ডিভাইসগুলোর সাতাশি শতাংশেরও বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে" (থমাস, বেরেসফোর্ড এবং রাইস ২০১৪)।
'''নম্বর অনুসারে অ্যান্ড্রয়েড'''
২০১৩ সালের ৩ সেপ্টেম্বরের তথ্য অনুযায়ী গুগল প্লে অ্যাপ স্টোর এক বিলিয়নেরও বেশি অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস সক্রিয় করেছে। আনুমানিক হিসাব অনুসারে, ৪০০ টিরও বেশি অ্যাপ্লিকেশন কমপক্ষে এক কোটি বার এবং ৮০০ টিরও বেশি অ্যাপ্লিকেশন কমপক্ষে পাঁচ কোটি বার ইনস্টল করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এই অ্যাপগুলো হলো গুগল প্লে অ্যাপ যার ডাউনলোড সংখ্যা অনন্য ডিভাইসে এক বিলিয়নেরও বেশি। ২০১৫ সালের ২৫শে জুন তারিখের তথ্য অনুযায়ী এই শীর্ষ বিভাগে স্থান পাওয়ার জন্য ১২টি অ্যাপ্লিকেশন রয়েছে। এগুলোর প্রতিটিই গুগল অথবা ফেসবুকের মালিকানাধীন:
# জিমেইল
# গুগল ম্যাপস
# ইউটিউব
# ফেসবুক
# গুগল সার্চ
# গুগল+
# হোয়াটসঅ্যাপ
# গুগল টেক্সট-টু-স্পিচ
# গুগল বই
# বার্তাবহ
# গুগল হ্যাঙ্গআউট
# গুগল ক্রোম
'''আইওএস প্ল্যাটফর্ম নিরাপত্তা'''
প্রতিটি iOS ডিভাইস সর্বাধিক নিরাপত্তা এবং স্বচ্ছ ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতার জন্য একসাথে কাজ করার জন্য ডিজাইন করা সফটওয়্যার, হার্ডওয়্যার এবং পরিষেবাগুলোকে একত্রিত করে। iOS কেবল ডিভাইস এবং এর ডেটাই সুরক্ষিত রাখে না, বরং সমগ্র ইকোসিস্টেমকে সুরক্ষিত রাখে, যার মধ্যে রয়েছে স্থানীয়ভাবে, নেটওয়ার্কে এবং গুরুত্বপূর্ণ ইন্টারনেট পরিষেবাগুলোর মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা যা কিছু করেন তা। iOS-এর অনেক নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য ডিফল্টরূপে সক্রিয় থাকে, তাই আইটি বিভাগগুলোকে ব্যাপক কনফিগারেশন সম্পাদনের প্রয়োজন হয় না। এবং ডিভাইস এনক্রিপশনের মতো গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্যগুলো কনফিগারযোগ্য নয়, তাই ব্যবহারকারীরা ভুল করেও সেগুলো অক্ষম করতে পারবেন না। অন্যান্য বৈশিষ্ট্য, যেমন টাচ আইডি, ডিভাইসটিকে সুরক্ষিত করা সহজ এবং আরও স্বজ্ঞাত করে ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা উন্নত করে।
'''আইওএস নিরাপত্তা প্রতিশ্রুতি'''
অ্যাপল নিরাপত্তার বিষয়টিকে কেন্দ্র করে iOS প্ল্যাটফর্মটি ডিজাইন করেছে। যখন আমরা সর্বোত্তম সম্ভাব্য মোবাইল প্ল্যাটফর্ম তৈরির লক্ষ্যে যাত্রা শুরু করি, তখন আমরা কয়েক দশকের অভিজ্ঞতা থেকে সম্পূর্ণ নতুন একটি স্থাপত্য তৈরি করি। ফলস্বরূপ, মোবাইল ডিভাইসের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে iOS একটি বড় অগ্রগতি।
আইওএস সিকিউরিটি নিম্নলিখিত বৈশিষ্ট্যগুলো প্রদান করতে চায়:
* সিস্টেম নিরাপত্তা: সমন্বিত এবং সুরক্ষিত সফটওয়্যার এবং হার্ডওয়্যার যা প্ল্যাটফর্ম
আইফোন, আইপ্যাড এবং আইপড টাচের জন্য।
* এনক্রিপশন এবং ডেটা সুরক্ষা: স্থাপত্য এবং নকশা যা ব্যবহারকারীর ডেটা সুরক্ষিত রাখে যদি
ডিভাইসটি হারিয়ে গেলে বা চুরি হয়ে গেলে, অথবা যদি কোনও অননুমোদিত ব্যক্তি এটি ব্যবহার বা পরিবর্তন করার চেষ্টা করে।
* অ্যাপ নিরাপত্তা: এমন সিস্টেম যা অ্যাপগুলোকে নিরাপদে এবং আপস ছাড়াই চালাতে সক্ষম করে
* নেটওয়ার্ক নিরাপত্তা: ট্রান্সমিশনে ডেটার প্রমাণীকরণ এবং এনক্রিপশনের মাধ্যমে শিল্প-মানক নেটওয়ার্কিং প্রোটোকল যা নিরাপদ প্রদান করে ।
* অ্যাপল পে: অ্যাপলের নিরাপদ পেমেন্ট বাস্তবায়ন।
* ইন্টারনেট পরিষেবা: মেসেজিং, সিঙ্কিং এবং ব্যাকআপ।
* ডিভাইস কন্ট্রোল: এমন পদ্ধতি যা ডিভাইসের অননুমোদিত ব্যবহার প্রতিরোধ করে এবং সক্ষম করে। এর মাধ্যমে হারিয়ে গেলে বা চুরি হয়ে গেলে দূর থেকে মুছে ফেলা হবে।
* প্রাইভেসি কন্ট্রোল: iOS এর ক্ষমতা যা লোকেশন অ্যাক্সেস নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যবহার করা যেতে পারে
'''আইওএস নিরাপত্তা সমালোচনা'''
নিরাপত্তা হুমকি মোকাবেলায় অ্যাপলের উন্মুক্ততা নিয়ে বিশেষজ্ঞ এবং সাংবাদিক উভয়ই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। বিশেষ করে তারা আশঙ্কা করছে যে অ্যাপল তার নিরাপত্তা দুর্বলতা সম্পর্কে জনসাধারণকে অবহিত করার জন্য পদক্ষেপ না নিয়ে তার ক্লায়েন্টদের বিপদে ফেলবে। তবে অ্যাপল পণ্যের নিরাপত্তা দুর্বলতা সম্পর্কে জনগণের সচেতনতার অভাব জনসাধারণকে বিভ্রান্ত করার জন্য অ্যাপলের সমালোচনার জন্ম দিয়েছে, যা বছরের পর বছর ধরে বেড়েছে (ভিয়েগা, ২০০৯)। এই সমালোচনা অ্যাপলের সময়মতো নিরাপত্তা আপডেট সহ তার পণ্যগুলো আপডেট করতে ব্যর্থতার দিকেও দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। কিছু বিশেষজ্ঞের মতে, সামগ্রিকভাবে, অ্যাপল পণ্যগুলোতে হ্যাকারদের আক্রমণ বা ভাইরাস/ম্যালওয়্যার দ্বারা সংক্রামিত হওয়ার সম্ভাবনা কম, যদিও তারা জোর দিয়ে বলেন যে এটি মূলত অ্যাপল পণ্যগুলোতে আক্রমণে হ্যাকারদের আগ্রহের অভাবের কারণে, যদিও iCloud এবং অ্যাপল ডিভাইসগুলোকে ঘিরে সাম্প্রতিক নিরাপত্তা হুমকিগুলো অন্যথার ইঙ্গিত দেয়।
২০১৩ সালের জুন মাসে দ্য গার্ডিয়ান এবং দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট উভয়ের দ্বারা ফাঁস হওয়া জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার নথি উন্মোচিত হওয়ার পর অ্যাপলের উপর আরেকটি দ্বিধা তৈরি হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। নথিগুলোতে বলা হয়েছে যে অ্যাপল আমেরিকান কোম্পানিগুলোর তালিকায় রয়েছে যারা অভিযোগ করে যে PRISM-এর সাথে সহযোগিতা করে, যা সরকারকে গোপনে আমেরিকান কোম্পানিগুলোর দ্বারা হোস্ট করা অ-আমেরিকান নাগরিকদের ডেটা অ্যাক্সেস করার সুযোগ দেয় কোনও ওয়ারেন্ট ছাড়াই। সরকারি কর্মকর্তারা এই প্রোগ্রামের অস্তিত্ব স্বীকার করেছেন, যা থেকে বোঝা যায় যে "এনএসএ-র ওই কোম্পানিগুলোর সার্ভারগুলোতে সরাসরি প্রবেশাধিকার রয়েছে, এবং ফাঁসের আগের বছরগুলোতে প্রোগ্রামের মাধ্যমে সংগৃহীত তথ্যের পরিমাণ দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছিল" (স্যাভেজ, ২০১৩)। অ্যাপল এই প্রোগ্রাম সম্পর্কে কোনও জ্ঞান থাকার কথা অস্বীকার করেছে।
অ্যাপল এখনও iOS নিরাপদ বলে দাবি করে। তবে iOS নিরাপত্তা সংক্রান্ত সাম্প্রতিক কেলেঙ্কারির পর অনেক ব্যবহারকারী ভিন্ন মত পোষণ করবেন। ২০১৫ সালের ২০ সেপ্টেম্বরের দিকে চিহ্নিত সর্বশেষ নিরাপত্তা সংক্রান্ত দুর্নীতির ঘটনাগুলো হলো, চীনে অবস্থিত কিছু ডেভেলপার iOS অ্যাপ স্টোরের জন্য অ্যাপ তৈরি করতে ভুল প্রোগ্রাম ব্যবহার করেছেন।<ref>http://www.macworld.co.uk/feature/iosapps/is-ipad-iphone-ios-safe-xcodeghost-what-security-software-need-3453938/</ref> ধারণা করা হচ্ছে যে ডেভেলপাররা Xcode-এর একটি নকল সংস্করণ ডাউনলোড করেছেন। কারণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে হোস্ট করা অ্যাপলের নিজস্ব সার্ভার থেকে ডাউনলোড করতে অনেক সময় লাগছিল। Xcode-এর মোট আকার প্রায় ৩.৯ গিগাবাইট। চীনা ডেভেলপাররা অ্যাপলের নিজস্ব Xcode-এর পরিবর্তে XcodeGhost ব্যবহার করছিলেন। প্রভাবিত অ্যাপগুলো চীনা হলেও সেগুলোর মধ্যে অ্যাংরি বার্ডস ২-এর মতো কয়েকটি জনপ্রিয় অ্যাপ ছিল। যদিও রোভিও নিশ্চিত করেছে যে অ্যাংরি বার্ডস ২-এর শুধুমাত্র চীনা অ্যাপ স্টোর সংস্করণটি ঝুঁকিপূর্ণ।9to5Mac অনুসারে, শীঘ্রই এর সমাধান আসছে। কিন্তু সাম্প্রতিক নিরাপত্তার কৃতিত্বের পাশাপাশি, ২০১৪ সালটি এমন একটি বছর হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে যেখানে IOS-এর নিরাপত্তা দুর্বলতা সর্বকালের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে বেশ কয়েকটি নিরাপত্তা ত্রুটি চিহ্নিত করা হয়েছিল। এর ফলে যদি ব্যবহারকারী একটি অরক্ষিত হটস্পট ব্যবহার করেন, সম্ভবত একটি ইন্টারনেট ক্যাফেতে একজন আক্রমণকারীর পক্ষে ব্যবহারকারীর ডেটা আটকানো সম্ভব হয়েছিল ।
'''সংখ্যা অনুসারে আইওএস'''
অ্যান্ড্রয়েডের পরে iOS হলো বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বাধিক জনপ্রিয় মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আইপ্যাডের বিক্রি অ্যান্ড্রয়েডের চেয়েও পিছিয়ে। যদিও ওয়েব ব্যবহারের (সকল ব্যবহারের জন্য একটি প্রক্সি) দিক থেকে আইপ্যাড (আইওএস ব্যবহার করে) এখনও সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়। ২০১২ সালের মাঝামাঝি সময়ে ৪১ কোটি ডিভাইস সক্রিয় করা হয়েছিল। WWDC ২০১৪-তে, টিম কুক বলেছিলেন, ২০১৪ সালের জুন নাগাদ ৮০০ মিলিয়ন ডিভাইস বিক্রি হয়েছে। ২৭ জানুয়ারি, ২০১৫ তারিখে অ্যাপলের ত্রৈমাসিক আয়ের আহ্বানের সময়, অ্যাপল ঘোষণা করে যে ২০০৭ সাল থেকে তারা এখন এক বিলিয়ন iOS ডিভাইস বিক্রি করেছে (শুধুমাত্র ২০১৪ সালে বিক্রি হওয়া অ্যান্ড্রয়েডের তুলনায় একটু কম)। ১৬ জানুয়ারি, ২০০৯ তারিখে, অ্যাপল তার ওয়েবসাইটে ঘোষণা করে যে ৫০ কোটি অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড করা হয়েছে। বিলিয়নতম অ্যাপ্লিকেশনটি ২৩শে এপ্রিল, ২০০৯ তারিখে ডাউনলোড করা হয়েছিল। ৩ মার্চ, ২০১২ তারিখে, ডাউনলোড করা অ্যাপের সংখ্যা ২৫ বিলিয়নে পৌঁছেছে। ৮ জুন, ২০১৫ তারিখে, অ্যাপল ঘোষণা করে যে অ্যাপ স্টোর ১০০ বিলিয়ন ডাউনলোড অতিক্রম করেছে।
ডিসেম্বর ২০১৪-এর সবচেয়ে বেশি ডাউনলোড হওয়া আইফোন এবং আইপ্যাড অ্যাপগুলোর তালিকা এখানে দেওয়া হলো: (পেইড/ ফ্রি)
# ক্ল্যাশ অফ ক্ল্যানস / অ্যাংরি বার্ডস ২
# মাইনক্রাফট / স্ন্যাপচ্যাট
# আফটারলাইট / ইউটিউব
# প্লেগ ইনকর্পোরেটেড / ফেসবুক
# স্লিপ সাইকেল অ্যালার্ম ক্লক / ইনস্টাগ্রাম
# ফেসটিউন / প্যান্ডোরা রেডিও
# কাট দ্য রোপ ২ / গুগল ম্যাপস
# ব্লুনস টিডি ৫ / ফ্লিপগ্রাম
# একটি অন্ধকার ঘর / স্পটিফাই
# ৭ মিনিট ওয়ার্কআউট চ্যালেঞ্জ / ২০৪৮
=== ওয়েব ব্রাউজার ===
==== ভূমিকা ====
[[ওয়েব ব্রাউজার]] হলো এমন অ্যাপ্লিকেশন যা একসময় ব্যবহারকারীদের ইন্টারনেট অ্যাক্সেস এবং ব্যবহার করার সুযোগ দেওয়ার জন্য ব্যবহার করা হত। কিন্তু প্রযুক্তি যত উন্নত হচ্ছে, ততই আমরা ব্রাউজারটি খোলার জন্য আরও বেশি ব্যবহার খুঁজে পাচ্ছি। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, ব্যবহারকারী ইন্টারফেস এবং এক্সটেনশনের মতো সহজ বৈশিষ্ট্যগুলো গ্রাহকদের মধ্যে সিদ্ধান্ত প্রক্রিয়ার অংশ হয়ে উঠেছে যখন তারা কোন ওয়েব ব্রাউজার ব্যবহার করবেন তা সিদ্ধান্ত নেন।
প্রথম ওয়েব ব্রাউজারটি তৈরি করা হয়েছিল কেবল WorldWideWeb (পরবর্তীতে নামটি নেক্সাসে পরিবর্তিত হয়)। [[টিম বার্নার্স-লি|স্যার টিম বার্নার্স-লি]] ১৯৯০ সালে এটি তৈরি করেন। সময়ের সাথে সাথে এবং প্রযুক্তির উন্নতির সাথে সাথে, সহজেই অ্যাক্সেসযোগ্য ব্রাউজারের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়, যার কিছুক্ষণ পরেই ১৯৯২ সালে Erwise মুক্তি পায় এবং এটি গ্রাফিক্যাল ইউজার ইন্টারফেস সহ প্রথম সাধারণভাবে অ্যাক্সেসযোগ্য ব্রাউজার ছিল। তবে ১৯৯৩ সালে [[মোজাইক (ব্রাউজার)|মোজাইক]] মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই জনসাধারণের কাছে একটি সহজে অতিক্রমযোগ্য লেআউট উপস্থাপন করা হয়েছিল, যেখানে এটি ব্যবহারকারী সকলের জন্য আরও সুগম ব্যবহারকারী ইন্টারফেসের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করা হয়েছিল। মোজাইকে বাস্তবায়িত অনেক বৈশিষ্ট্য এখনও বর্তমান জনপ্রিয় ব্রাউজারগুলোতে বিদ্যমান, যেমন উপরে একটি URL বার এবং পিছনে/ফরোয়ার্ড বোতাম।
বর্তমানে, বাজারে পাঁচটি ব্রাউজার আধিপত্য বিস্তার করছে; [[ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার]], [[মোজিলা ফায়ারফক্স|ফায়ারফক্স]], [[গুগল ক্রোম|গুগল ক্রোম,]] [[সাফারি (ওয়েব ব্রাউজার)|সাফারি]] এবং [[অপেরা (ওয়েব ব্রাউজার)|অপেরা]] । এই পাঁচটি ব্রাউজারে বেশিরভাগই কিছুটা উন্মুক্ত উৎসের। সোর্স কোডের কিছু দিক সকলের জন্য প্রাপ্যতাযোগ্য। এর একমাত্র ব্যতিক্রম ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার। এটি ১৯৯৫ সালে প্রকাশের পর থেকে সম্পূর্ণ মালিকানাধীন।
==== ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের আধিপত্য এবং পতন ====
ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার প্রথম আত্মপ্রকাশ করে ১৯৯৫ সালে যা [[মাইক্রোসফট কর্পোরেশন|মাইক্রোসফট]] দ্বারা উইন্ডোজ ৯৫ অ্যাড-অন প্যাকেজের অংশ হিসেবে তৈরি করা হয়েছিল এবং লঞ্চের সময় এটি অত্যন্ত সফল হয়েছিল। ২০০০-এর দশকের গোড়ার দিকে, ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার বাজারের বেশিরভাগ অংশ দখল করে রেখেছিল, ২০০৩ সালে ৯৫%-এ পৌঁছেছিল। তবে অন্যান্য জনপ্রিয় ওয়েব ব্রাউজারগুলোর উত্থানের সাথে সাথে, বাজারে ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের আধিপত্য এখন প্রায় হাস্যকর বলে মনে হচ্ছে, ব্রাউজারটি অনেক ইন্টারনেট রসিকতার মূল বিষয়। যদিও এটি শীর্ষ পাঁচটি সর্বাধিক ব্যবহৃত ব্রাউজারের মধ্যে রয়ে গেছে, তবুও এর জনপ্রিয়তা এবং খ্যাতি এখনও ক্ষতিগ্রস্ত এবং ক্রমাগত হ্রাস পাচ্ছে এমন ব্যবহারের পরিসংখ্যান তা প্রতিফলিত করে। <ref>http://gs.statcounter.com/#all-browser-ww-monthly-200812-201602</ref>
ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের ইতিহাসে এমন অনেক বিষয় রয়েছে যা মানুষ এর জনপ্রিয়তা হ্রাসের কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছে, যার মধ্যে কিছু বিষয় এই সত্যকে প্রতিফলিত করে যে IE প্রকৃতিগতভাবে সম্পূর্ণ মালিকানাধীন। প্রথমত, ২০০১ সালে ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের ষষ্ঠ প্রধান সংস্করণ, IE6- এর মুক্তিকে এই মুহূর্তগুলোর মধ্যে একটি বলে মনে করা হয়। [[ম্যালওয়্যার]] এবং অন্যান্য নিরাপত্তা লঙ্ঘনের বৃহৎ সমস্যা দেখা দেওয়ার সাথে সাথে, বিশেষজ্ঞরা ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার ব্যবহারকারীদের অন্যান্য নির্ভরযোগ্য ব্রাউজারে স্যুইচ করার পরামর্শ দিতে শুরু করেছেন। <ref>https://www.schneier.com/blog/archives/2004/12/safe_personal_c.html</ref> ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের একটি সাধারণ অভিযোগ হলো এই ধরণের সমস্যা আবিষ্কার করা এবং সমস্যাটি সমাধানের জন্য একটি প্যাচ প্রকাশ করার মধ্যে সময় লাগে, যা প্রায়ই এর মালিকানাধীন প্রকৃতির কারণে হয়। এই ধরনের সমস্যা সমাধানের জন্য একটি নিবেদিতপ্রাণ দল থাকার অর্থ হলো, যখন কোনও পরিচিত সমস্যা দেখা দেয় তখন সহায়তা পাওয়া সহজ হয়, তবে নিরাপত্তার বিষয়গুলোর সমাধান খুঁজে বের করার ক্ষেত্রে, ওপেন সোর্স উপাদানগুলো প্রায়ই সম্প্রদায়গুলোকে দ্রুত সমাধান খুঁজে বের করার জন্য বিনিয়োগ করে এবং তাই তারা একটি পৃথক দলের চেয়ে দ্রুত সমাধান তৈরি এবং প্রকাশ করতে পারে।
ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের পতনের কথা বলার সময় আরেকটি আকর্ষণীয় বিবেচ্য বিষয় হলো হার্ডওয়্যার IE এর সাথে সম্পর্কিত। ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার প্রায়ই মাইক্রোসফট পণ্যের সাথে প্যাকেজ করা হয়, বিশেষ করে উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম এবং এক্সবক্স ৩৬০। তবে যখন ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার প্রাধান্য পেয়েছিল, তখন এটি আরও অনেক ডিভাইসে অ্যাক্সেসযোগ্য ছিল, বিশেষ করে [[ম্যাকিন্টশ|ম্যাকিনটোশ কম্পিউটারে]] । ম্যাকিনটোশ ব্যবহারকারীদের মধ্যে জনপ্রিয় হওয়া সত্ত্বেও, মাইক্রোসফট ঘোষণা করে যে তারা ২০০৫ সালে ম্যাকিনটোশ কম্পিউটারে ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের ডেভেলপমেন্ট বন্ধ করার পরিকল্পনা করছে। যেহেতু IE একটি মালিকানাধীন ব্রাউজার, তাই এটি ডেভেলপমেন্টের দৃষ্টিকোণ থেকে অনেক অর্থবহ, যা উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের ডেভেলপমেন্টের উপর আরও বেশি মনোযোগ দেওয়ার সুযোগ করে দেয়। তবে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্নতার ফলে বাজারের একটি বৃহৎ অংশ সম্পূর্ণরূপে অ্যাক্সেসযোগ্য হয়ে ওঠে না, এমন একটি সমস্যা যা সফটওয়্যারটি ওপেন সোর্স হলে বিদ্যমান থাকত না। এই কোড ব্যবহারের মাধ্যমে, ম্যাকিনটোশ ব্যবহারকারীরা নিজেরাই সফটওয়্যারটি আপডেট করতে পারবেন এবং তাদের পছন্দের কম্পিউটারে চালানোর জন্য ব্রাউজারগুলো আপডেট করার পদ্ধতিগুলো বের করতে পারবেন। এই বিশেষ উদাহরণে, মনে হচ্ছে একটি ওপেন সোর্স ব্রাউজার থাকা বৃহত্তর দর্শকদের কাছে পৌঁছানোর ক্ষেত্রে আরও উপকারী।
==== ফায়ারফক্সের আধিপত্য এবং পতন ====
২০০৪ সালের শেষের দিকে, [[মোজিলা|মজিলা]] ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে মজিলা ফায়ারফক্স প্রকাশ করে, যা সম্পূর্ণরূপে ওপেন সোর্স ওয়েব ব্রাউজার, যা এর গতি, নিরাপত্তা এবং ব্রাউজার এক্সটেনশনের মতো নতুন বৈশিষ্ট্যগুলোর জন্য ব্যাপক প্রশংসা লাভ করে, যাকে অ্যাড-অনও বলা হয়। অধিকন্তু, ওপেন সোর্স ইন নেচার হওয়ায় ফায়ারফক্স ব্যবহারকারীদের ইন্টারনেটের সাথে কীভাবে যোগাযোগ করা যায় সে সম্পর্কে আরও স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছিল, যা মজিলা ম্যানিফেস্টোর দ্বিতীয় দাবি "ইন্টারনেট একটি বিশ্বব্যাপী পাবলিক রিসোর্স যা উন্মুক্ত এবং অ্যাক্সেসযোগ্য থাকা উচিত" দ্বারা সবচেয়ে ভালোভাবে অনুমান করা হয়েছে। <ref>https://www.mozilla.org/en-GB/about/manifesto/</ref>
একটি ওপেন সোর্স ব্রাউজার হিসেবে, ফায়ারফক্স তৃতীয় পক্ষের ডেভেলপমেন্ট থেকে উপকৃত হয়, বিশেষ করে অ্যাড-অনগুলোর মাধ্যমে যা ব্যবহারকারীদের ব্রাউজারটি কীভাবে কাজ করে তা নিয়ন্ত্রণ করতে দেয়। ফায়ারফক্সের কোড সকলের জন্য উপলব্ধ হওয়ার সাথে সাথে, গ্রাহকদের তাদের ব্রাউজিং অভিজ্ঞতায় ইচ্ছামত বৈশিষ্ট্য যোগ করার জন্য এক্সটেনশন তৈরি করার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল, যেমন অ্যাডব্লকের মতো এক্সটেনশন ব্যবহার করে অবাঞ্ছিত বিজ্ঞাপন অপসারণ করা। আরও সুন্দরভাবে, ফায়ারফক্স কাস্টম ব্যবহারকারী থিমগুলোকেও সমর্থন করেছিল, যা ব্যবহারকারীদের ব্রাউজারের চেহারা এবং রঙের স্কিম পরিবর্তন করার সুযোগ দেয়, যা আরও উপযুক্ত ব্রাউজিং অভিজ্ঞতা তৈরি করে। নিরাপত্তা সমস্যার সমাধান দ্রুত খুঁজে পাওয়া যায় এবং ওপেন সোর্স প্রোগ্রামগুলো আরও সুরক্ষিত হওয়ার সাথে সাথে, ফায়ারফক্স তাৎক্ষণিকভাবে জনপ্রিয়তা অর্জন করে, বিশেষ করে তার প্রধান প্রতিযোগী ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার ৬-এর তুলনায়।
তবে ফায়ারফক্সের পরিষেবা হিসেবে একটি প্রধান সমস্যা হলো আপডেট এবং এর মধ্যে থাকা বিষয়বস্তুর ক্ষেত্রে এর নির্ভরযোগ্যতা। ফায়ারফক্সের অনেক আপডেটই ছোটখাটো প্রকৃতির এবং সম্প্রদায়-ভিত্তিক হওয়ায়, গ্রাহকদের আগ্রহের জন্য খুব কমই নতুন, বৃহৎ পরিসরের বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এর ফলে ফায়ারফক্স ব্যবহারকারীদের একটি নিবেদিতপ্রাণ সম্প্রদায় তৈরি হয়। কিন্তু নতুন ব্যবহারকারীর সংখ্যা কম হয়। যদিও ফায়ারফক্সের স্থিতিশীলতা ধারাবাহিকভাবে ভালো রয়ে গেছে, ছোটখাটো সম্প্রদায়-চালিত বাগ সংশোধনের বাইরে প্রভাবশালী উন্নতির অভাবের ফলে এর ব্যবহারের পরিসংখ্যান কিছুটা স্থবির হয়ে পড়েছে। <ref>http://www.digitaltrends.com/computing/internet-explorer-chrome-and-firefox-market-share-for-october/</ref>
==== গুগল ক্রোমের উত্থান ====
২০০৮ সালে গুগল তাদের নিজস্ব ওয়েব ব্রাউজার, গুগল ক্রোম দিয়ে ব্রাউজার যুদ্ধে প্রবেশ করে। মুক্তি পাওয়ার পর থেকে, ক্রোমের জনপ্রিয়তা কেবল বৃদ্ধি পেয়েছে, বর্তমানে এটি বাজারে আধিপত্য বিস্তার করেছে এবং ফেব্রুয়ারি ২০১৬ পর্যন্ত মোট ব্যবহারের ৪৭.৭৭% ব্যবহার রয়েছে। গুগল ক্রোম একটি ফ্রিওয়্যার, যার অর্থ এর কিছু উপাদান রয়েছে যা প্রকৃতিগতভাবে মালিকানাধীন, তবে এর বেশিরভাগ কোডই ওপেন সোর্স। এর জনপ্রিয়তার পেছনে অনেক বৈশিষ্ট্য রয়েছে, এর সহজলভ্য, ন্যূনতম ইন্টারফেস এবং গতি মাত্র কয়েকটি।
ওপেন সোর্স হওয়ায় ফায়ারফক্সের মতোই ক্রোম উপকৃত হয়েছে, ঘন ঘন আপডেট, থিম এবং ব্রাউজার এক্সটেনশনের মতো বৈশিষ্ট্যগুলো ক্রোম ব্যবহারকারীদের জন্য উপলব্ধ। যদিও ফায়ারফক্সের ওপেন সোর্স প্রকৃতি এটিকে প্রাথমিকভাবে জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি করেছিল, একই রকম বৈশিষ্ট্য এবং সুপরিচিত আইটি কোম্পানি গুগলের সাথে সংযোগ ক্রোমকে তার আধিপত্য প্রতিষ্ঠার জন্য প্রয়োজনীয় রিলিজের সময় তা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করেছিল। [[ক্রোমিয়াম (ওয়েব ব্রাউজার)|ক্রোমিয়াম]] ক্রোমের সোর্স কোডে সহজে অ্যাক্সেসের সুযোগ করে দেওয়ার ফলে, ইচ্ছুকদের আউটসোর্সিং করে ক্রোমের জন্য লিনাক্স এবং ম্যাক ওএস এক্স পোর্টের কিছু ডেভেলপমেন্ট কাজ সহজ করা হয়েছে। <ref>http://arstechnica.com/information-technology/2008/09/google-unveils-chrome-source-code-and-linux-port/</ref> এর ফলে গুগলকে ইউজার ইন্টারফেস উন্নত করার এবং ব্রাউজারের আরও ভালো বিজ্ঞাপন দেওয়ার মতো বৈশিষ্ট্যগুলোতে মনোনিবেশ করার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছিল, এই সুযোগটি কাজে লাগিয়ে যে সার্চ ইঞ্জিন গুগল তাদের ব্রাউজার প্রচারের জন্য একটি সাধারণভাবে ব্যবহৃত পরিষেবা ছিল। তাদের কোডের ওপেন সোর্সিংয়ের মাধ্যমে ঘন ঘন আপডেটের সুযোগ দেওয়া হয় এবং নির্ভরযোগ্য এবং দ্রুত পরিষেবা পাওয়া যায়, তাই গুগল ক্রোম কেন জনপ্রিয়তার দিক থেকে এগিয়ে চলেছে তা স্পষ্ট।
'''http://www.telegraph.co.uk/technology/news/9163335/Whats-behind-the-rise-of-Google-Chrome.html'''
== ওপেন সোর্স সফটওয়্যার কী? ==
ওপেন সোর্স সফটওয়্যার (OSS) হলো GNU এবং Linux এর মতো প্রোগ্রাম যা প্রোগ্রামারদের নির্দিষ্ট সফটওয়্যার সম্পাদনা এবং উন্নত করার জন্য সোর্স কোড পরিবর্তন করতে দেয়। মুইর তার ওপেন সোর্স সফটওয়্যার বইয়ে OSS কে "প্রকৃত সোর্স কোডে অ্যাক্সেস" হিসেবে সংজ্ঞায়িত করেছেন, যা প্রায়ই GNU পাবলিক লাইসেন্সের অধীনে পাওয়া যায়, যা প্রোগ্রামারদের সফটওয়্যার পরিবর্তন করতে এবং এটি পুনরায় বিতরণ করতে দেয়, এই প্রয়োজনে যে তারা এই পরিবর্তনগুলো অন্যান্য ডেভেলপারদের কাছে উপলব্ধ করে।" <ref>Muir, Scott P, and Leggott, Mark, eds. Open Source Software. Bradford, GBR: Emerald Group Publishing Ltd, 2005. ProQuest ebrary. Web. 5 March 2016</ref> এটিকে বিনামূল্যের সফটওয়্যার হিসাবেও পরিচিত করা যেতে পারে তবে আমি এই বাক্যাংশটি থেকে দূরে থাকব কারণ এটি 'মুক্ত বাকস্বাধীনতা'র পরিবর্তে 'মুক্ত জিনিস' ধারণার মতো বিনামূল্যের কথা উল্লেখ করে।
=== ওএসএসের ইতিহাস ===
ধারণা করা হয় যে UNIVAC ('ইউনিভার্সাল অটোমেটিক কম্পিউটার'-এর সংক্ষিপ্ত রূপ) প্রথম ওপেন সোর্স সফটওয়্যার, 'A-2 সিস্টেম' তৈরি করেছিল। এটি ১৯৫৩ সালে তৈরি করা হয়েছিল এবং সেই বছরের শেষ নাগাদ বিতরণ করা হয়েছিল। পণ্যটিতে সোর্স কোডও অন্তর্ভুক্ত ছিল যা ব্যবহারকারীদের প্রদান করা হয়েছিল যাতে তারা (যদি তারা ইচ্ছা করে) পণ্যের উন্নত সংস্করণগুলো UNIVAC-তে ফেরত পাঠাতে পারে <ref>Peter Cohan. (2009). Back to the 1970s: IBM in mainframe antitrust suit again. Retrieved march/3rd, 2016, from http://www.dailyfinance.com/2009/10/09/back-to-the-1970s-ibm-in-mainframe-antitrust-suit-again/</ref> ১৯৬০-এর দশকের আগের যুগে এটা বলা নিরাপদ ছিল যে বেশিরভাগ প্রোগ্রাম বিনামূল্যে ছিল। তবে এগুলো বিনামূল্যে ছিল না কারণ সফটওয়্যার ডেভেলপাররা গ্রাহকদের বাগ ঠিক করতে এবং পণ্যের উন্নতি ফেরত পাঠাতে সাহায্য করার ধারণাটি পছন্দ করেছিলেন যাতে পণ্যটি আরও ভালোভাবে তৈরি করা যায় (যদিও ইউনিভ্যাকের A-2 সিস্টেমটি এর দ্বারা চালিত হয়েছিল) কিন্তু কারণ সেই সময়ে প্রযুক্তি ছিল ভীতিকর এবং খুবই ভয়ঙ্কর। এর আংশিক কারণ ছিল সেই সময়ে সায়েন্স ফিকশন সিনেমার প্রযোজনাগুলোকে ভৌতিক হিসেবে দেখা হত। মানুষের মনে একটা বিরাট ভয় ছিল,যদি কোম্পানিগুলো তাদের কাজের ব্যাপারে স্বচ্ছ না হয়, তাহলে মানুষ পেছনের দরজা দিয়ে বেরিয়ে যাবে, ফলে হ্যাক করা সহজ হবে।
সময়ের সাথে সাথে প্রযুক্তি অনেক উন্নত হতে শুরু করে, এর ফলে প্রতিযোগীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পায় এবং দামও বৃদ্ধি পায়। তবে প্রতিযোগীদের সংখ্যা বৃদ্ধির অর্থ হলো নোংরা কৌশলের প্রবর্তন। এই বাজারটি একসময় একটি অলিগোপলি ছিল এবং আইবিএমের মতো কোম্পানিগুলো এটিকে এভাবেই রাখতে চাইত। ১৯৬৯ সালে কম্পিউটার বাজারের এই বৃহৎ খেলোয়াড়টির বিরুদ্ধে প্রতিযোগিতামূলক মূল্য নির্ধারণের জন্য একটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। <ref>Hopper, Grace. "Keynote Address". Proceedings of the ACM SIGPLAN History of Programming Languages (HOPL) conference</ref>
=== ওএসএস-এর সমালোচনা ===
সময়ের সাথে সাথে OSS মালিকানাধীন সফটওয়্যারের চেয়ে বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এর মূল কারণ হলো এটি বিনামূল্যে, যেখানে মালিকানাধীন সফটওয়্যারের জন্য মানুষকে অর্থ প্রদান করতে হয়। তবে এটি একটি অলাভজনক সম্প্রদায় দ্বারা তৈরি হওয়ায় এর বেশ কিছু অসুবিধা রয়েছে। মালিকানাধীন সফটওয়্যারের তুলনায় OSS ব্যবহারের অনেক সুবিধা রয়েছে। ব্যবসার জন্য প্রধান সুবিধা হলো ওপেন সোর্স হলো বাজারে প্রবেশের ক্ষেত্রে ব্যবসার জন্য আরও বেশি সাফল্য অর্জনের একটি ভালো উপায়। যখন কোনও কোম্পানি OSS ব্যবহারের পরিকল্পনা করে, তখন তারা এমন পণ্য প্রতিষ্ঠা করতে পারে যা নির্ভরযোগ্য, উচ্চমানের এবং শিল্পের মানদণ্ডের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ, যার অর্থ তারা প্রতিদ্বন্দ্বী কোম্পানিগুলোর উপর এগিয়ে থাকতে পারে। এটিকে আরও নির্ভরযোগ্য বলে মনে করা হয় কারণ এতে অনেক স্বাধীন প্রোগ্রামার (যেমন লিনাক্স) সহযোগিতা করতে পারে এবং সাধারণ প্রকাশের আগে এর বাগ এবং সমস্যাগুলো খুঁজে বের করতে পারে। রেনল্ডস, <ref>Carl; Jeremy Wyatt (February 2011). "Open Source, Open Standards, and Health Care Information Systems". JMIR 13. doi:10.2196/jmir.1521</ref> OSS এর আরেকটি সুবিধা এবং অনেক নতুন প্রযুক্তি সংস্থা এটি ব্যবহারের অন্যতম কারণ হলো এটি সস্তা এবং ব্যবহার করা সহজ। মালিকানাধীন সফটওয়্যারের বিপরীতে যেখানে ব্যয়বহুল গবেষণা এবং উন্নয়ন করতে হয়।
OSS ব্যবহারের ফলে একটি কোম্পানি তাদের ব্যবহৃত প্রযুক্তির সাথে আরও নমনীয় হতে পারে। এর ফলে একটি ব্যবসা বাজারে দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানাতে পারে এবং দ্রুত উদ্ভাবন অর্জন করতে পারে, যা একটি ক্রমাগত অগ্রগতিশীল প্রযুক্তিগত বিশ্বে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। OSS কৌশল ব্যবহারের মাধ্যমে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান অ্যাপল এবং মাইক্রোসফটের মতো বৃহৎ কোম্পানির বিরুদ্ধে সুযোগ পায় কারণ এটি সস্তা। <ref>Sharma, Srinarayan; Vijayan Sugumaran; Balaji Rajagopalan (2002). "A framework for creating hybrid-open source software communities"</ref> OSS-এর আরেকটি সুবিধা হলো, সফটওয়্যারের ডেভেলপাররা তাদের নিজস্ব সফটওয়্যারের মতো ক্ষমতায়িত বোধ করবে, যার অর্থ তারা আরও ভালোভাবে তৈরি পণ্য তৈরি করবে কারণ একজন কর্মী তাদের নিজস্ব তৈরিতে কাজ করার জন্য আরও বেশি অনুপ্রাণিত বোধ করবে। এই মালিকানার বোধের কারণে পণ্য এবং কোম্পানির প্রতি আনুগত্য তৈরি হয়। OSS ব্যবহারকারীদের যদি দক্ষ এবং কম্পিউটারে দক্ষ হন, তাহলে বিরক্তিকর বাগ ঠিক করার জন্য পরবর্তী প্যাচের জন্য অপেক্ষা করতে হবে না।
সামগ্রিকভাবে, OSS ব্যবহার আপনার ব্র্যান্ড এবং এর অর্থ কী তা সংজ্ঞায়িত করতে সাহায্য করে। OSS কে ব্র্যান্ডগুলোর জন্য একটি ইতিবাচক ভাবমূর্তি হিসেবে দেখা হয় কারণ এটি ভেন্ডর লক-ইন (যা মালিকানাধীন লক-ইন নামেও পরিচিত) বা প্যাচের জন্য চার্জিংয়ের ধারণার বিরুদ্ধে দাঁড়ায়। যেসব কোম্পানি OSS ব্যবহার করে তারা সাধারণত ব্যবসায়িক পরিভাষা 'কাইজেন' (ক্রমাগত উন্নতি) তে বিশ্বাস করে, যার অর্থ তারা সর্বদা তাদের মূল্যবান গ্রাহকের কাছে আরও ভালো পণ্য সরবরাহ করতে চায়। এটি এই ধারণার প্রতিনিধিত্ব করে যে প্রযুক্তি মুক্ত হওয়া উচিত। আমাদের সবসময় প্রিমিয়াম মূল্য পরিশোধ করতে হবে না।
বেশিরভাগ জিনিসের মতো অনেক দুর্দান্ত সুবিধার সাথে সাথে কিছু অসুবিধাও থাকতে হবে এবং OSSও এর থেকে আলাদা নয়। গ্রাহকদের চাহিদা শোনার জন্য ডেভেলপারদের উপর বাণিজ্যিক চাপের অভাব রয়েছে। এর অর্থ হলো তারা এমন সফটওয়্যার তৈরি করবে যা গ্রাহকদের চেয়ে তাদের চাহিদা অনুসারে তৈরি করা হবে। পণ্যের গুণমান এতে কাজ করা প্রোগ্রামারদের ধরণের দ্বারাও প্রভাবিত হতে পারে। কারণ OSS-এর সাফল্য অনেকটাই দলীয় কাজের উপর নির্ভর করে। সফটওয়্যারটিতে কাজ করা কিছু প্রোগ্রামারের বিভিন্ন লক্ষ্য থাকতে পারে, সফটওয়্যার সম্পর্কে ধারণা থাকতে পারে যা একে অপরের সাথে সাংঘর্ষিক হতে পারে। ইজেল এবং সোর্সএক্সচেঞ্জের মতো বেশ কয়েকটি ওএসএস প্রকল্পে এটি ঘটেছে। <ref>Sharma, Srinarayan; Vijayan Sugumaran; Balaji Rajagopalan (2002). "A framework for creating hybrid-open source software communities"</ref> বড় কোম্পানিগুলো ওপেন সোর্স সফটওয়্যার ব্যবহার না করার একটি প্রধান কারণ হলো নিরাপত্তা ঝুঁকি। সোর্স কোড দেখানো হলে নিরাপত্তার দুর্বলতা দেখা যাবে যা ত্রুটি খুঁজে বের করা সহজ করে তুলতে পারে। বৃহৎ পরিসরে OSS প্রকল্পের ক্ষেত্রে এটি তেমন একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়, তবে একক ব্যক্তির প্রকল্পের ক্ষেত্রে বড় ধরনের নিরাপত্তা ঝুঁকি থাকতে পারে।
ওপেন সোর্স ব্যবহারের ফলে একই ধরণের জিনিসের ক্লোন তৈরি হয়। এর একটি ভালো উদাহরণ হলো মোবাইল গেম ফ্ল্যাপি বার্ড। যখন এটি সফল হয়, তখন আমরা অ্যান্ড্রয়েডে অনেক অনুরূপ কপি দেখতে পাই। যেখানে ক্লোজড সোর্স সফটওয়্যারের তাদের সফটওয়্যারে কী লাগানো হবে তার উপর বেশি নিয়ন্ত্রণ থাকে <ref>Joab Jackson. Open source vs. proprietary software. Retrieved March/4th, 2016, from http://www.pcworld.com/article/243136/open_source_vs_proprietary_software.html</ref> এর ফলে অনেক OSS প্রকল্প ক্লোন করা হয়। এর ফলে গ্রাহক নিম্নমানের সফটওয়্যারের চাপে পড়ে যান এবং ভালো সফটওয়্যার থেকে বঞ্চিত হন।
ডেভেলপাররা এতে যোগ এবং পরিবর্তন করার সাথে সাথে OSS বাস্তব সময়ে বিকশিত হতে থাকে, যার অর্থ এটি আরও উন্নত মানের হতে পারে। OSS এর সাথে সম্পর্কিত একটি সাধারণ ভুল ধারণা হলো যে এটি মালিকানাধীন সিস্টেমের তুলনায় বেশি নিরাপদ এবং ভাইরাসের ঝুঁকি কম কারণ এর বিপুল সংখ্যক ব্যবহারকারী রয়েছে যারা যেকোনো সমস্যা সমাধানের জন্য সেখানে উপস্থিত থাকে। যদিও এটি সত্য হতে পারে, তবে এটি অগত্যা এটিকে সহজাতভাবে নিরাপদ করে তোলে না। লোকেরা কোডটি দেখে। এর ফলে নিরাপত্তার দুর্বলতাগুলো সহজেই ধরা পড়ে। OSS নিরাপত্তার উপর একটি তদন্তে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে যে OSS কোডকে দৃশ্যমান করে তোলে, তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই, উৎস দৃশ্যমানতা একটি নির্দিষ্ট প্রকল্পের জন্য সৃষ্ট সামগ্রিক নিরাপত্তা ঝুঁকি বাড়াতে খুব কমই সাহায্য করে। নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা জানিয়েছেন,বেশিরভাগ পরিস্থিতিতে, উৎসের দৃশ্যমানতা প্রকল্পের স্থিতিশীলতা এবং নিরাপদ অবস্থার সম্মতিতেও সহায়তা করতে পারে।
<u>সফটওয়্যার</u> সবকিছুই একটি একক অপারেটিং সিস্টেম UNIX থেকে আসে, মূলত এটি IOS10 সহ ম্যাকের IOS সিস্টেমের ভিত্তি স্থাপন করে। এটি মূলত কোড লেখার পরিবর্তে একটি আগে থেকে তৈরি অপারেটিং সিস্টেম। যদিও এটি প্রায় প্রতিটি অপারেটিং সিস্টেমের ভিত্তি তৈরি করে, এটি খুবই 'বন্ধ'। কিন্তু এটি এই তত্ত্বের পরিপন্থী যে সবাই চায় সবকিছু উন্মুক্ত থাকুক এবং ভাগ করে নেওয়া হোক যাতে আপনি আপনার চাহিদা অনুযায়ী সফটওয়্যারটি সম্পাদনা এবং তৈরি করতে পারেন।
সহজ কথা হলো, সকলেই তাদের চাহিদা অনুযায়ী সফটওয়্যার সম্পাদনা এবং পরিচালনা করতে চায় না। এটা তাদের জন্য খুব জটিল হতে পারে অথবা তারা হয়তো আগ্রহী নাও হতে পারে। কিছু ব্যক্তি কেবল একটি সাধারণ কাজের জন্য কম্পিউটার ব্যবহার করতে চান এবং লগ ইন এবং CLU ব্যবহারের ঝামেলা মোকাবেলা করতে চান না। এই ক্ষেত্রে একটি GUI, গ্রাফিক্যাল ইউজার ইন্টারফেসই যথেষ্ট। এটি দ্রুত, সহজ এবং ব্যবহার করা সহজ। ব্যবহারকারী কী চায় তা আপনাকে বিবেচনা করতে হবে। তারা কি অফুরন্ত কোডিং চায় নাকি মেকানিক্স চায়, তবে কি এটা উন্মুক্ত নাকি বাণিজ্যিকীকরণ করা হবে?
== মালিকানাধীন সফটওয়্যার ==
=== ভূমিকা ===
মালিকানাধীন সফটওয়্যার হলো এমন সফটওয়্যার যা আইনত সম্পূর্ণরূপে এর স্রষ্টা বা স্রষ্টাদের মালিকানাধীন। সাধারণত, মালিকানাধীন সফটওয়্যারের সোর্স কোড দেখার ক্ষমতা এবং এর পরিবর্তনের উপর খুব কঠোর বিধিনিষেধ থাকে। এই সীমাবদ্ধতার কারণে, ব্যবহারকারীর প্রয়োজন অনুসারে প্রোগ্রামটি পরিবর্তন বা সংশোধন করার ক্ষমতা সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ। এই ধরণের সফটওয়্যার (যদিও কখনও কখনও বিনামূল্যে) সাধারণত শুধুমাত্র একটি ফি দিয়ে পাওয়া যায় এবং শুধুমাত্র লাইসেন্সপ্রাপ্ত কী হোল্ডাররা এর উদ্দেশ্যে সফটওয়্যারটি ব্যবহার করতে পারেন।
মালিকানাধীন সফটওয়্যার লাইসেন্স এবং লাইসেন্স চুক্তির মাধ্যমে ব্যবহৃত হয়। ডগলাস ই ফিলিপস তার "সফটওয়্যার লাইসেন্স উন্মোচিত" বইতে রূপরেখা দিয়েছেন : লাইসেন্স আইন কীভাবে সফটওয়্যার অ্যাক্সেস নিয়ন্ত্রণ করে", <ref>Phillips, DE 2009, Software License Unveiled : How Legislation by License Controls Software Access, Oxford University Press, USA, Cary, NC, USA. Available from: ProQuest ebrary. [6 March 2016].</ref> সমস্ত ব্যবহারকারী লাইসেন্স চুক্তি অনুসরণ করে এমন নির্দিষ্ট নির্দেশিকা।
এর মধ্যে রয়েছে:- "আপনি হয়তো ভেবেছেন যে আপনি কিছু কিনেছেন। কিন্তু আপনি তা করেননি। সফটওয়্যারটি লাইসেন্সপ্রাপ্ত, বিক্রি করা হয়নি।"
"আপনি এখন একটি সফটওয়্যার কোম্পানির সাথে একটি চুক্তির পক্ষ। লাইসেন্সটি আপনার এবং সফটওয়্যার প্রদানকারীর মধ্যে একটি আইনত বাধ্যতামূলক চুক্তি।"
"যদি এটি না বলে যে আপনি এটি করতে পারবেন, তাহলে আপনি পারবেন না। সফটওয়্যার প্রদানকারী আপনাকে সফটওয়্যারটি ব্যবহারের সুযোগ দেয়। কিন্তু আপনি এমন কিছু করতে পারবেন না যা লাইসেন্স স্পষ্টভাবে সুযোগ দেয় না। অবশ্যই, আপনাকে এমন কিছু করা থেকেও বিরত থাকতে হবে যা এটি স্পষ্টভাবে নিষিদ্ধ করে। উদাহরণস্বরূপ, আপনি একবারে একাধিক ব্যক্তিকে সফটওয়্যারটি ব্যবহার করতে দিতে পারবেন না; এটি পুনরায় বিক্রয় বা বিপরীত প্রকৌশলী করতে পারবেন; অথবা, যদি সফটওয়্যারটি একটি নির্দিষ্ট ধরণের শেষ ব্যবহারকারীর জন্য মনোনীত করা হয়, তাহলে সেই ধরণের শেষ ব্যবহারকারী না হয়ে এটি ব্যবহার করুন।"
"যদি আপনি এমন কিছু করেন যা এটি বলে না যে আপনি করতে পারবেন (অথবা বলে যে আপনি করতে পারবেন না), তাহলে আপনি সফটওয়্যারটি একেবারেই ব্যবহার করতে পারবেন না। সফটওয়্যারটি ব্যবহারের জন্য আপনার অনুমতি লাইসেন্স চুক্তির সমস্ত শর্তাবলী মেনে চলার উপর নির্ভরশীল, যার মধ্যে আপনার ব্যবহারকে সীমাবদ্ধ করে এমন সমস্ত শর্তাবলীও অন্তর্ভুক্ত। ফলস্বরূপ, যেকোনো শর্ত লঙ্ঘনের ফলে আপনার সমস্ত লাইসেন্স অধিকার নষ্ট হতে পারে এবং আপনি কেবল চুক্তি ভঙ্গকারীই নন, বরং কপিরাইট লঙ্ঘনকারীও হয়ে ওঠেন।"
"যদি সফটওয়্যার কোম্পানি কিছু করতে চায়, তাহলে তা করতে পারে। আপনি সফটওয়্যার প্রদানকারীকে সফটওয়্যারে পণ্য সক্রিয়করণ, পণ্য যাচাইকরণ এবং স্বয়ংক্রিয় আপডেট ফাংশন অন্তর্ভুক্ত করার জন্য নিঃশর্ত অনুমতি দেন। এই ফাংশনগুলো সফটওয়্যারে আপনার অ্যাক্সেসকে প্রভাবিত করতে পারে, এবং সম্ভাব্যভাবে আপনার কম্পিউটারে, এবং সফটওয়্যার এবং আপনার কম্পিউটার সম্পর্কে তথ্য সফটওয়্যার প্রদানকারীর কাছে প্রেরণ করতে পারে।"
"যদি সফটওয়্যারে কিছু ভুল হয়ে যায়, তাহলে তা ঠিক করার জন্য সফটওয়্যার কোম্পানির উপর নির্ভর করবেন না। আপনি সম্মত হন যে সফটওয়্যার সরবরাহকারী আপনাকে খুব কম বা কোনও ওয়ারেন্টি দেয় না এবং সফটওয়্যার ত্রুটির জন্য আপনার কাছে খুব কম বা কোনও দায়বদ্ধতা থাকবে না। আপনি আরও সম্মত হন যে সফটওয়্যার তৃতীয় পক্ষের অধিকার লঙ্ঘন করলে আপনার বিরুদ্ধে যে দাবি হতে পারে তার জন্য সফটওয়্যার সরবরাহকারী দায়ী থাকবে না।" (ফিলিপস, ২০০৯)
মুক্ত সফটওয়্যার আন্দোলন ১৯৮৩ সালে শুরু হয়েছিল। এর প্রবর্তনের পর একদল ব্যক্তি "মুক্ত সফটওয়্যার" শব্দটিকে ওপেন সোর্স সফটওয়্যার (OSS) দ্বারা প্রতিস্থাপন করার পক্ষে মত প্রকাশ করেন, যা কর্পোরেট জগতের ক্ষেত্রে আরও সুবিধাজনক। সফটওয়্যার ডেভেলপাররা তাদের সফটওয়্যারটি একটি ওপেন সোর্স লাইসেন্স কাঠামোর মধ্যে প্রকাশ করতে চাইতে পারেন যাতে যে কেউ একই সফটওয়্যারটি তৈরি করতে পারে অথবা এর অভ্যন্তরীণ কার্যকারিতা সম্পর্কে আরও ভালভাবে বুঝতে পারে। ওপেন সোর্স সফটওয়্যারের সাহায্যে, যে কেউ এতে পরিবর্তন আনতে, নতুন অপারেটিং সিস্টেম এবং প্রসেসর আর্কিটেকচারে পোর্ট করতে সক্ষম, যা এটিকে অন্যদের সাথে ভাগ করে নেওয়ার বা কিছু ক্ষেত্রে বাজারজাত করার সুযোগ দেয়।
=== উদাহরণ ===
প্রোপ্রাইটি সফটওয়্যারের সবচেয়ে বেশি ব্যবহারকারীদের মধ্যে একটি হলো [https://www.microsoft.com/en-gb মাইক্রোসফট কর্পোরেশন] । [[উইন্ডোজ এক্সপি]] এবং [[উইন্ডোজ ৮|উইন্ডোজ ৮ এর]] মতো অপারেটিং সিস্টেম থেকে শুরু করে বিশ্বব্যাপী প্রভাবশালী [[মাইক্রোসফট অফিস]] প্রোগ্রাম পর্যন্ত প্রতিটি সফটওয়্যারই সুরক্ষার যথাযথ ব্যবস্থা ব্যবহার করে। মালিকানাধীন প্রোগ্রামগুলোর আরও উদাহরণগুলোর মধ্যে রয়েছে; [http://www.adobe.com/ অ্যাডোবি ফ্ল্যাশ প্লেয়ার], [[আইটিউন্স|আইটিউনস]] এবং [[ম্যাকওএস|ম্যাক ওএস এক্স]] ।
=== সুবিধা ===
মালিকানাধীন সফটওয়্যার ব্যবহারের সুবিধা এবং অসুবিধা উভয়ই রয়েছে। ওপেন সোর্স সফটওয়্যার সিস্টেমের পরিবর্তে মালিকানাধীন সফটওয়্যার সিস্টেম ব্যবহারের সুবিধা হলো যে পণ্যটি ব্যবহার করার সময় আপনার যে কোনও সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে তার জন্য অনেক বেশি নিবেদিতপ্রাণ সহায়তা রয়েছে। যেহেতু মালিকানাধীন সফটওয়্যারটি কোনও কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান দ্বারা তৈরি করা হয় এবং পণ্য হিসেবে বিক্রি করা হয়, তাই কোনও সমস্যা হলে বা সিস্টেম ইনস্টল/সেট আপ করার ক্ষেত্রে যদি তাদের সাহায্যের প্রয়োজন হয়, তাহলে গ্রাহকদের জন্য সর্বদা সহায়তা পাওয়া নিশ্চিত করা কোম্পানির স্বার্থে। এটি ওপেন সোর্স সফটওয়্যার থেকে আলাদা, যেখানে একটি কমিউনিটি সাপোর্ট সিস্টেম বেশি থাকে যেখানে সঠিক সমাধান খুঁজে না পাওয়া পর্যন্ত আপনাকে বিভিন্ন সমাধান অনুসন্ধান করতে হতে পারে। মালিকানাধীন সফটওয়্যার সাধারণত ব্যবসায়িক জগতের চাহিদা পূরণের জন্য এবং বাজারের চাহিদা পূরণের জন্য তৈরি করা হয়। এই কারণে, মালিকানাধীন সফটওয়্যারে প্রায়ই ওপেন সোর্স সফটওয়্যারের তুলনায় বেশি বৈশিষ্ট্য থাকে, উদাহরণস্বরূপ, ওয়ার্ড এবং এক্সেল সহ সমস্ত [[মাইক্রোসফট অফিস]] অ্যাপ্লিকেশনগুলোকে একই সাথে একই কাজে কাজ করার জন্য একসাথে লিঙ্ক করা যেতে পারে।
=== সমালোচনা ===
মালিকানাধীন সফটওয়্যারের একটি প্রধান সমালোচনা হলো যে এই ধরণের সফটওয়্যারের বেশিরভাগই কেবল ক্রয়ের মাধ্যমে পাওয়া যায়। এই ধরণের সফটওয়্যারের দামের পরিসর সস্তা থেকে শুরু করে খুব ব্যয়বহুল পর্যন্ত হতে পারে, উদাহরণস্বরূপ, [[উইন্ডোজ ১০|Windows ১০]] £২৯.৯৯ পর্যন্ত সস্তা হতে পারে, যা [[অ্যাডোবি ফটোশপ|Adobe Photoshop]] এর মতো অন্যান্য প্রোগ্রামের দাম £২০০০ এ কেনা যাবে। দামের এই পরিসরটি সাধারণ ব্যবহারকারীর জন্য খুবই বিরক্তিকর হতে পারে কারণ একটি কম্পিউটার প্রোগ্রামের জন্য হাজার হাজার পাউন্ড খরচ করা খুবই অযৌক্তিক বলে মনে হয়। মালিকানাধীন সফটওয়্যারের আরও একটি সমালোচনা হলো এর সোর্স কোড দেখতে এবং প্রোগ্রামের কোডিং পরিবর্তন করতে না পারা। ব্যবসায়িক জগতে বিদ্যমান চাহিদা এবং প্রয়োজনীয়তা ক্রমাগত পরিবর্তিত হচ্ছে। এই ক্রমাগত পরিবর্তনশীল পরিবেশের সাথে, মালিকানাধীন সফটওয়্যার প্রায়ই তাদের গ্রাহকদের চাহিদার সাথে তাল মিলিয়ে চলতে পিছিয়ে পড়তে পারে। এটি ওপেন সোর্স সফটওয়্যারের বাজার উন্মুক্ত করে দেয় কারণ ব্যবহারকারীরা চাইলে তাদের উদ্দেশ্য অনুসারে সফটওয়্যারের কার্যকারিতা পরিবর্তন করতে পারেন। মালিকানাধীন সফটওয়্যারে কাস্টমাইজেশন এবং স্ব-উন্নতির অভাবের কারণেই অনেক মানুষ ওপেন সোর্স সিস্টেম ব্যবহার করতে পছন্দ করে।
=== ওপেন সফটওয়্যার বনাম মালিকানাধীন সফটওয়্যার ===
ওপেন সফটওয়্যার মূলত এমন একটি সফটওয়্যার যা সকলের জন্য বিনামূল্যে এবং অ্যাক্সেসযোগ্য, যা তাদের চাহিদা পূরণের জন্য প্রোগ্রামটি পরিবর্তন করতে দেয়। এটি অনেক কম্পিউটিং ভক্তদের বিশ্বাস করা অনেক মূল থিম এবং ধারণার একটি অনুসরণ করে। তবে একটি খুব বড় নিরাপত্তা ঝুঁকি রয়েছে এবং ওপেন সফটওয়্যার ব্যবহার করার সময় অনেক লাইসেন্সিং আইন বিবেচনায় নিতে হয়। অন্যদিকে মালিকানাধীন সফটওয়্যার আছে যা অর্থায়ন করা হয় এবং আপনাকে এর জন্য অর্থ প্রদান করতে হবে। এর একটি গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ হলো উইন্ডোজ এক্সপি। প্রায়শই মালিকানাধীন সফটওয়্যার হ্যাকারদের তাদের সিস্টেমে থাকা যেকোনো ত্রুটি বা বাগ কাজে লাগাতে বলে। কিন্তু যখন সমস্যাটি শনাক্ত করা হয়, তখন প্রায়ই তারা এই সমস্যা সমাধানের জন্য কিছু করে না। কারণ এতে অন্যান্য পক্ষের আগ্রহ থাকে। ওপেন সফটওয়্যার খুবই উপকারী কারণ এটি একাধিক ব্যক্তিকে একই জিনিসে একসাথে কাজ করার সুযোগ দেয়, যেমন এই প্রকল্পটি। এটি খুবই কার্যকর, ব্যক্তিদের অন্যদের কাজ পর্যালোচনা করার সুযোগ করে দেওয়ার ফলে আরও সমস্যা চিহ্নিত এবং সমাধান করা হবে। ব্যবহারে খুবই উপকারী, ওপেন সফটওয়্যার আপনাকে একসাথে একাধিক ব্যবহারকারী রাখার সুযোগ দেয়, তবে এটির অপব্যবহার না করা গুরুত্বপূর্ণ। কোনও বাগ-মুক্ত সফটওয়্যার নেই, এটি ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং আরও ভালোর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। প্রোপ্রাইটারি সফটওয়্যারে CLI-এর বিপরীতে GUI এবং ইন্টারঅ্যাকশন বেশি থাকে, যা সাধারণত ওপেন সফটওয়্যারের সাথে সম্পর্কিত। একটি GUI (গ্রাফিক্যাল ইউজার ইন্টারফেস) মূলত ছবির একটি সিরিজ, একটি মেনু, যা দ্রুত এবং সহজেই ঘুরে দেখা যায় এবং ব্যবহার করা যায়। এটি এমন ব্যবহারকারীদের জন্য খুবই উপকারী যারা কম্পিউটার শিক্ষিত নন এবং কেবল দ্রুত প্রযুক্তি ব্যবহার করতে চান।
== ওপেন সোর্স এবং মালিকানাধীন সফটওয়্যারের ভবিষ্যৎ ==
ওপেন সোর্স পূর্ব-বিদ্যমান নকশা এবং ব্লুপ্রিন্টের পরিবর্তন এবং পুনর্বণ্টনকে সর্বজনীনভাবে অবাধে উপলব্ধ করার সুযোগ দেয়। প্রোগ্রামিংয়ের ক্ষেত্রে ওপেন সোর্সের ভবিষ্যৎ নিঃসন্দেহে অনেক প্রোগ্রামার এবং ব্যবসার দ্বারা ব্যবহৃত হতে থাকবে। [http://www.zdnet.com/ ZDNet] দ্বারা পরিচালিত একটি জরিপে দেখা গেছে, ৭৮% কোম্পানি তাদের অনুশীলনে ওপেন সোর্স সফটওয়্যার ব্যবহারের সাথে খাপ খাইয়ে নিয়েছে। এটি একটি স্মরণীয় পদক্ষেপ কারণ ২০১০ সালে "ওপেন সোর্সের ভবিষ্যৎ" জরিপের প্রতিক্রিয়ায়, মাত্র ৪২% কোম্পানি বলেছিল যে তারা OSS ব্যবহার করে। ৯৩% বলেছেন যে গত বছর ধরে ওপেন সোর্সের ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়েছে অথবা স্থির রয়ে গেছে। বর্তমানে, ৬৪% কর্পোরেশন ওপেন সোর্স প্রকল্পে অংশগ্রহণ করে - যা ২০১৪ সালের তুলনায় ১৪% বেশি। ওপেন সোর্স প্রকল্পে কোম্পানিগুলোর সম্পৃক্ততার অদূর ভবিষ্যতের পূর্বাভাস ৮৮%-এ উন্নীত হবে বলে আশা করা হচ্ছে <ref>http://www.zdnet.com/article/its-an-open-source-world-78-percent-of-companies-run-open-source-software/</ref>
একজন প্রোগ্রামার হিসেবে ওপেন সোর্স সফটওয়্যারের ভবিষ্যৎ ইতিমধ্যেই তাদের দৈনন্দিন জীবনের অংশ। একজন আধুনিক প্রোগ্রামার হিসেবে, আপনার বর্তমান প্রকল্পগুলোর বেশিরভাগই ইতিমধ্যেই অন্যান্য প্রোগ্রামাররা তাদের বিনামূল্যে উপলব্ধ কোড Github-এর মতো ওয়েবসাইটে রেখে সম্পন্ন করেছেন। এর ফলে ব্যবহারকারীরা এই ওপেন সোর্স প্রকল্পগুলো ডাউনলোড এবং শেয়ার করতে পারবেন। <ref>https://github.com/github</ref> আজকাল প্রোগ্রামাররা ইতিমধ্যেই করা কোড পুনরায় লিখতে চান না। অদূর ভবিষ্যতে, প্রোগ্রামাররা কেবল ওপেন সোর্স কোডের কিছু অংশ নেবে এবং সেই প্রকল্পটিকে আরও অনেকের সাথে একত্রিত করে একটি চূড়ান্ত প্রকল্প তৈরি করবে। এটি বিভিন্ন দক্ষতা স্তরের প্রোগ্রামারদের এই ওপেন সোর্স প্রকল্পগুলো বুঝতে এবং বাস্তবায়ন করতে সাহায্য করে, এছাড়াও প্রোগ্রামারদের একটি প্রকল্প সম্পূর্ণ করার জন্য সময় এবং অর্থ সাশ্রয় করে।
ওপেন সোর্স সফটওয়্যারের ভবিষ্যৎ আমাদের সমাজের প্রযুক্তির অগ্রগতির উপর নাটকীয় প্রভাব ফেলবে। এর একটি উদাহরণ হতে পারে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি হেডসেট, ওকুলাস রিফট। এই হেডসেটের সম্পূর্ণ সোর্স কোড ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে জনসাধারণের জন্য প্রকাশ করা হয়েছিল। <ref>http://www.forbes.com/sites/jasonevangelho/2014/01/10/rumor-oculus-rift-will-launch-summer-2014-for-less-than-499/#fe6788046985</ref> এই হেডসেটটি সম্পূর্ণরূপে ওপেন সোর্স হওয়ার পর এই পণ্যটির অগ্রগতি অসাধারণ। ২০১৪ সালে ওকুলাস রিফটসের সোর্স কোড প্রকাশের পর এটি স্যামসাং গিয়ার ভার্চুয়াল রিয়েলিটি হেডসেটের মতো নতুন ভার্চুয়াল রিয়েলিটি হেডসেটগুলো বুঝতে এবং তৈরি করতে সহায়তা করেছে। <ref>http://www.samsung.com/uk/consumer/mobile-devices/wearables/gear/SM-R320NPWABTU</ref>
বিল গেটস ১৯৯৪ সালের পর জন্মগ্রহণকারী শিশুদের ইন্টারনেটের সাথে বেড়ে ওঠা প্রথম প্রজন্ম হিসেবে উল্লেখ করেছেন। ১০-১২ বছর বয়সী ৯০% শিশু অনলাইন গেম খেলে। <ref>https://hbr.org/2012/04/the-mobile-re-generation</ref> যেহেতু এই শিশুদের মধ্যে প্রযুক্তি তাদের জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ, তাই এখন অনেক স্কুলে প্রোগ্রামিং শেখানো হচ্ছে। শিশুদের প্রোগ্রামিং দক্ষতা বিকাশের জন্য এখন প্রোগ্রামিং ক্লাব প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। <ref>http://coderdojostirling.com/</ref> এর থেকে বোঝা যায়,প্রযুক্তির ব্যবহার বছরের পর বছর ধরে বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে ওপেন সোর্সের ব্যবহারও বৃদ্ধি পাবে। সকল বয়সের শিশুরা তাদের নিজস্ব আনন্দের জন্য প্রকল্পগুলো সম্পন্ন করার জন্য ওপেন সোর্স সফটওয়্যার ব্যবহার করে। এখন স্কুলে শিশুরা প্রোগ্রামিং শিখছে, তাই অনলাইন ইন্টারেক্টিভ প্রোগ্রামিং ক্লাসগুলো ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। <ref>https://www.codecademy.com/learn</ref> বেশিরভাগ মানুষের কাছে ইন্টারনেট সহজলভ্য হওয়ার সাথে সাথে, এই ইন্টারেক্টিভ প্রোগ্রামিং ক্লাসের ব্যবহার ক্রমশ বৃদ্ধি পাবে। এর অর্থ হলো, যত বেশি মানুষ প্রোগ্রামিং শিখবে, ওপেন সোর্সের ব্যবহার তত বাড়বে।
'ওপেন সোর্স গ্রাহক এবং ব্যবসার মধ্যে স্বাধীনতা প্রদান করে', <ref>http://open-source.gbdirect.co.uk/migration/benefit.html#flexibilityfreedom</ref> কিছু মালিকানাধীন সফটওয়্যার নমনীয় বলে দাবি করে কিন্তু নমনীয়তা সৃজনশীলতাকে বোঝায় এবং ওপেন সোর্স সফটওয়্যার ব্যবহারের মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা কোনও সীমা ছাড়াই তাদের নিজস্ব প্রয়োজনের জন্য নিজস্ব সফটওয়্যার তৈরি করতে পারে। ওপেন সোর্স সফটওয়্যার ব্যবহারকারীদের নিয়ন্ত্রণে থাকতে, তাদের নিজস্ব সিদ্ধান্ত নিতে এবং তারা যা চায় তা করতে সাহায্য করে। <ref>http://www.pcworld.com/article/209891/10_reasons_open_source_is_good_for_business.html</ref> আজকাল মানুষ জানে তারা কী চায় এবং কীভাবে তারা কাজ করতে চায়, এবং প্রযুক্তি আমাদের জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে ওঠার সাথে সাথে ওপেন সোর্স সফটওয়্যারের ব্যবহারও বৃদ্ধি পাবে।
মানুষ এমন ব্যক্তি যারা নিজের সিদ্ধান্ত নিতে এবং স্বাধীনভাবে কাজ করতে পছন্দ করে এবং ওপেন সোর্স এই ধারণাকে সম্পূর্ণরূপে সমর্থন করে। ওপেন সোর্সের ভবিষ্যৎ খুবই ইতিবাচক দেখাচ্ছে; বর্তমানে এটি ইতিমধ্যেই প্রযুক্তিগত জীবনযাত্রার একটি সমন্বিত অংশ। সাধারণত, আজকাল উৎপাদিত প্রতিটি সফটওয়্যারের উন্নয়নে ওপেন সোর্স সফটওয়্যার ব্যবহার করা হয়। বছরের পর বছর ধরে প্রযুক্তিগত অগ্রগতি ওপেন সোর্স সফটওয়্যার ব্যবহারের দ্বারা ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হয়েছে। কারণ প্রতিটি প্রোগ্রামারের হাতে বিশাল ডেভেলপার রয়েছে। এছাড়াও ১৯৯৪ সালের পরে জন্ম নেওয়া শিশুদের দৈনন্দিন জীবনে এখন প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু হয়েছে, তাদের ছোটবেলা থেকেই প্রোগ্রামিং শেখানো হচ্ছে এবং ব্যক্তিরা অনলাইনে ইন্টারেক্টিভ প্রোগ্রামিং ক্লাসেও অংশগ্রহণ করছে। প্রযুক্তির ক্রমাগত অগ্রগতি এবং ব্যবহারের সাথে সাথে এটি অনিবার্য যে সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্টের ক্ষেত্রে ওপেন সোর্স ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হবে কারণ এর অনেক সুবিধা রয়েছে। ভবিষ্যতেও ওপেন সোর্স ব্যবহার অব্যাহত থাকবে, তবে ওপেন সোর্স ইতিমধ্যেই প্রযুক্তিগত উন্নয়নের একটি সমন্বিত অংশ। '''ভবিষ্যৎ এখানেই।'''
== শব্দকোষ ==
== শব্দকোষ ==
সমস্ত শর্তাবলী ইন্টারনেট অফ এভরিথিংয়ের উপরের অধ্যায় থেকে নেওয়া হয়েছে। সমস্ত সংজ্ঞা উইকিপিডিয়া এবং অক্সফোর্ড অভিধান থেকে নেওয়া হয়েছে।
4Chan 4chan একটি ইংরেজি ভাষার ইমেজ বোর্ড ওয়েবসাইট। ব্যবহারকারীরা সাধারণত বেনামে পোস্ট করেন, সাম্প্রতিকতম পোস্টগুলি বাকিগুলির উপরে প্রদর্শিত হয়। 4chan তাদের নিজস্ব নির্দিষ্ট সামগ্রী এবং নির্দেশিকা সহ বিভিন্ন বোর্ডে বিভক্ত। রেজিস্ট্রেশনের প্রয়োজন হয় না, বা এটি সম্ভব নয় (স্টাফ ব্যতীত)।
অ্যান্ড্রয়েড একটি অপারেটিং সিস্টেমের নাম, প্রধানত ম্যাক নয় এমন ডিভাইসগুলিতে ব্যবহৃত হয়।
অনামী অ্যানোনিমাস অ্যাক্টিভিস্ট এবং হ্যাক্টিভিস্ট সত্তাগুলির একটি আলগাভাবে যুক্ত আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক। এই গোষ্ঠীর সাথে নামমাত্র যুক্ত একটি ওয়েবসাইট এটিকে "একটি ইন্টারনেট সমাবেশ" হিসাবে বর্ণনা করে "একটি খুব আলগা এবং বিকেন্দ্রীভূত কমান্ড কাঠামো যা নির্দেশের পরিবর্তে ধারণার উপর কাজ করে"
লেখক লেখার পেশা, লেখার উৎস (লেখক হিসাবে) লেখা, সঙ্গীত বা শিল্পের একটি অংশ।
ক্রিয়েটিভ কমন্স ক্রিয়েটিভ কমন্স একটি অলাভজনক সংস্থা যা বিনামূল্যে আইনি সরঞ্জামগুলির মাধ্যমে সৃজনশীলতা এবং জ্ঞান ভাগ করে নেওয়া এবং ব্যবহার সক্ষম করে।
জ্ঞানীয় লোড ওয়ার্কিং মেমরিতে ব্যবহৃত মানসিক প্রচেষ্টার পরিমাণ।
কাস্টমাইজেবিলিটি আপনাকে আপনার প্রয়োজন অনুসারে কিছু কাস্টমাইজ এবং সম্পাদনা করার অনুমতি দেওয়ার কাজ।
ডারউইন ওপেন সোর্স ইউনিক্স অপারেটিং সিস্টেম যা অ্যাপল দ্বারা নির্মিত এবং ২০০০ সালে মুক্তি পায়।
বিকেন্দ্রীকরণ একটি কেন্দ্রীয় অবস্থান বা কর্তৃপক্ষ থেকে দূরে ফাংশন, ক্ষমতা, মানুষ বা জিনিস পুনরায় বিতরণ বা ছড়িয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া।
ডিজিটাল রাইটস ম্যানেজমেন্ট (DRM) বিভিন্ন অ্যাক্সেস কন্ট্রোল প্রযুক্তি যা মালিকানাধীন হার্ডওয়্যার এবং কপিরাইটযুক্ত কাজগুলির ব্যবহার সীমাবদ্ধ করতে ব্যবহৃত হয়।
একটি নির্দিষ্ট শাসক বা সরকার দ্বারা মালিকানাধীন বা নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলের একটি এলাকা ডোমেন
গুটেনবার্গ ছাপাখানার স্রষ্টা।
হ্যাকার একজন ব্যক্তি যিনি ডেটাতে অননুমোদিত অ্যাক্সেস অর্জনের জন্য কম্পিউটার ব্যবহার করেন।
হ্যাক্টিভিজম হ্যাক্টিভিজম হ'ল রাজনৈতিক বা সামাজিকভাবে অনুপ্রাণিত উদ্দেশ্যে হ্যাকিং বা কম্পিউটার সিস্টেমে প্রবেশ করার কাজ। যে ব্যক্তি হ্যাক্টিভিজমের কাজ করে তাকে হ্যাক্টিভিস্ট বলা হয়।
হার্ডওয়্যার বস্তু যা বাস্তব, যা আপনি শারীরিকভাবে স্পর্শ করতে এবং সরাতে পারেন। কম্পিউটার হার্ডওয়্যার স্পিকার, কীবোর্ড ইত্যাদি নিয়ে গঠিত।
ল্যাম্প একটি অ্যাব্রেভিয়েশন যা একটি কম্পিউটারের অপারেটিং সিস্টেমকে কভার করে। লিনাক্স, অ্যাপাচি, মাইএসকিউএল, পিএইচপি।
লিনাক্স সফটওয়্যারটির একটি অংশ যা ওপেন সোর্স এবং আপনাকে নিজের অপারেটিং সিস্টেমটি সম্পূর্ণ করতে এবং লিখতে সক্ষম করে। অপারেটিং সিস্টেম ইউনিক্সের ভিত্তি ব্যবহার করে।
মেমস একটি প্রযুক্তি যা তার সবচেয়ে সাধারণ আকারে ক্ষুদ্র যান্ত্রিক এবং ইলেক্ট্রো-মেকানিক্যাল উপাদান (যেমন, ডিভাইস এবং কাঠামো) হিসাবে সংজ্ঞায়িত করা যেতে পারে যা কৌশলগুলি ব্যবহার করে তৈরি করা হয় মাইক্রো ফ্যাব্রিকেশন।
মাইক্রোসফট অফিস মাইক্রোসফট অফিস সিস্টেম মাইক্রোসফট দ্বারা তৈরি কম্পিউটার প্রোগ্রামগুলির একটি সংগ্রহ। প্রোগ্রাম সব ব্যবহারকারীর জন্য তৈরি করা হয়। হোম ব্যবহারকারীদের জন্য এবং ব্যবসায়িক ব্যবহারকারীদের জন্য সফটওয়্যারটির বিভিন্ন সংস্করণ রয়েছে।
নাসা ন্যাশনাল অ্যারোনটিক্স অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন।
ই এম এর নির্মাতারা যারা নিজের নামে এবং ব্র্যান্ডিংয়ের অধীনে অন্য সংস্থার পণ্য পুনরায় বিক্রয় করে।
ওপেন অফিস একটি ওপেন সোর্স অফিস প্রোডাক্টিভিটি স্যুট। সফটওয়্যার মাইক্রোসফট উইন্ডোজ, অ্যাপল ম্যাকস এবং লিনাক্স সহ সমস্ত প্রধান অপারেটিং সিস্টেমের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
ওপেন সোর্স এমন সফটওয়্যার নির্দেশ করা যার জন্য মূল উত্স কোডটি বিনামূল্যে উপলব্ধ করা হয়েছে এবং পুনরায় বিতরণ এবং সংশোধন করা যেতে পারে।
মেরুকরণ সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে (একটি ট্রান্সভার্স তরঙ্গ, বিশেষত আলো) এর কম্পনকে এক দিকে সীমাবদ্ধ করুন।
গোপনীয়তা এমন একটি রাষ্ট্র যেখানে কেউ অন্য লোকেদের দ্বারা পর্যবেক্ষণ বা বিরক্ত হয় না।
মালিকানা সফটওয়্যার যা কোনও ব্যক্তি বা সংস্থার মালিকানাধীন (সাধারণত এটি বিকাশকারী)। এর ব্যবহারের উপর প্রায় সর্বদা বড় বিধিনিষেধ রয়েছে এবং এর উত্স কোডটি প্রায় সর্বদা গোপন রাখা হয়।
সার্ভার একটি কম্পিউটার বা কম্পিউটার প্রোগ্রাম যা একটি নেটওয়ার্কে একটি কেন্দ্রীভূত সম্পদ বা পরিষেবা অ্যাক্সেস পরিচালনা করে।
সফটওয়্যার একটি কম্পিউটার দ্বারা ব্যবহৃত প্রোগ্রাম এবং অন্যান্য অপারেটিং তথ্য।
সিস্টেম একটি প্রক্রিয়া বা একটি আন্তঃসংযোগকারী নেটওয়ার্কের অংশ হিসাবে একসাথে কাজ করা জিনিসগুলির একটি সেট; একটি জটিল সমগ্র।
টেলিটেক্সট পাঠ্য এবং গ্রাফিক্স আকারে একটি সংবাদ এবং তথ্য পরিষেবা, উপযুক্ত রিসিভার সহ টেলিভিশনগুলিতে বিদ্যমান টেলিভিশন চ্যানেলগুলির অতিরিক্ত ক্ষমতা ব্যবহার করে প্রেরণ করা হয়।
t25od2gc3ddzss2mog7ypbdcn7pvibl
85804
85801
2025-07-07T22:37:45Z
MS Sakib
6561
85804
wikitext
text/x-wiki
= ওপেন সোর্স এবং মালিকানাধীন প্রযুক্তি =
== ভূমিকা ==
[[সবকিছুর জন্যেই ইন্টারনেট?|"সবকিছুর জন্যেই ইন্টারনেট?"]] উইকিবইয়ের এই অধ্যায়ে [[উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যার|উন্মুক্ত উৎসের]] এবং মালিকানাধীন প্রযুক্তির মূল ধারণাগুলো অন্বেষণ করা হবে। ১৯৭০-এর দশকে শুরু হওয়া এই দুই ধরণের সফটওয়্যারের ঐতিহাসিক বিকাশ তাদের স্রষ্টা, অবদানকারী এবং তৈরি প্রযুক্তিগত পণ্যের রেফারেন্সের সাথে পরীক্ষা করা হবে। ১৯৮০ এবং ১৯৯০ এর দশকে উন্নয়ন অব্যাহত থাকার সাথে সাথে [[হ্যাকার সংস্কৃতি|'হ্যাকারদের']] ব্যাপকতা এবং গুরুত্ব আরও প্রাসঙ্গিক হয়ে ওঠে। বিষয়কে ঘিরে নৈতিক যুক্তিগুলোও তাই। এই অধ্যায়ে দুটি বিপরীতমুখী সফটওয়্যারের পরিপ্রেক্ষিতে মেধাস্বত্ব বা [[মেধাস্বত্ব|কপিরাইট]] এবং [[ক্রিয়েটিভ কমন্স লাইসেন্স|ক্রিয়েটিভ কমন্সের]] ধারণাগুলোও বিশ্লেষণ করা হবে। দুটি ভিন্ন সফটওয়্যারের গভীর বিশ্লেষণের মাধ্যমে তাদের ক্ষমতার সুবিধা এবং অসুবিধা সম্পর্কে আলোচনা করা হবে। ওপেন সোর্স এবং মালিকানাধীন সফটওয়্যারের এই ভিত্তিগত গবেষণা ব্যবহার করে এই অধ্যায়টি দুটি সফটওয়্যারের সমসাময়িক উদাহরণ, তাদের অ্যাপ্লিকেশন এবং একই সাথে একাধিক প্ল্যাটফর্মে কাজ করার ক্ষেত্রে তাদের কার্যকারিতা সম্পর্কিত বিতর্কগুলো পর্যালোচনা করা হবে।
== উন্মুক্ত ও মালিকানাধীন সফটওয়্যারের ইতিহাস ==
একজন লেখক এবং লেখকত্বের সারমর্ম হোমার প্রবর্তন করেছিলেন। আগেরকার গল্পগুলো মুখে মুখে বলে পরিবেশিত হত। ফলে মূল দুটি গল্প কখনও হুবুহু এক হতো না। "বার্ড"দের পরিবেশিত এসব গল্পে উন্মুক্ত বাক্যাংশ ব্যবহার করে একটি গল্পের ভিত্তি তৈরি করা হতো। তবে প্রতি দুইটি গল্প একই হতো কিনা, তা এখানে নিশ্চিত করা হতো না।
হোমারই প্রথম ব্যক্তি যিনি কাগজে কলম লাগিয়ে একটি প্রতিলিপি তৈরি করেছিলেন। এর একটি প্রধান উদাহরণ হলো '[[w:ওডিসি|দ্য ওডিসি]]'। এই নতুন ধারণাটি চালু হওয়ার সাথে সাথে হোমার একটি কাল্পনিক জগতকে বৈধতা দিয়েছিলেন। একজন লেখক হওয়ার সাথে সাথেই লেখা বিতরণের চারপাশে একটি সৃজনশীল শিল্প শুরু হয়। লেখার পিছনে কেন আমাদের প্রক্রিয়া আছে এবং কীভাবে সেগুলো কাজ করে এবং বিতরণ করা হয়, সে সম্পর্কে লেখকরা গুরুত্বপূর্ণ। হোমার কপিরাইট আইন এবং রয়্যালটিগুলোতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।
হোমার প্রতিলিপি লেখার আদর্শ প্রবর্তন করার পর স্পষ্ট হয়ে ওঠে, এর কপি ছিল সীমিত। কারণ প্রতিটি কপি হাতে লিখতে হত। প্রায়ই এসব তৈরি করতে কয়েক মাস পর্যন্ত সময় লাগত। এরপর গুটেনবার্গ ১৫০০ সালের দিকে প্রথম ছাপাখানা চালু করেন। এর ফলে কপি করা দ্রুততর হয় এবং লেখকদের পাঠক সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। শেক্সপিয়র মূলত এভাবেই খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। কারণ তিনি দ্রুত ধারাবাহিকভাবে প্রচুর প্রতিলিপি তৈরি করতে সক্ষম হয়েছিলেন। তবে আধুনিক সমাজে আমরা এই যুগান্তকারী আবিষ্কারটিকে হালকাভাবে নিই। কারণ আমরা কোনও দ্বিধা ছাড়াই মূল মালিককে এর রয়্যালটি বা স্বীকৃতি না দিয়েই কোনও কাজের অনুলিপি তৈরি করতে পারি।
বিভিন্ন প্রতিলিপি প্রাপ্যতা করার দ্রুততার কারণে, একটি রেজিস্টার বাস্তবায়ন করা হয়েছিল যাতে কেবলমাত্র নির্দিষ্ট কিছু প্রত্যয়িত ছাপাখানাগুলোকে কেবল নির্দিষ্ট প্রতিলিপি মুদ্রণের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। তাদের একটি নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে মুদ্রণের অনুমতিপ্রাপ্ত সংখ্যার উপরও একটি সীমা ছিল। লেখক যাতে তাদের শ্রেষ্ঠ রচনাগুলোর জন্য খ্যাতি এবং বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করতে পারেন, সেজন্য এটি চালু করা হয়েছিল। স্পষ্টতই এটি ১৫০০ এর দশকের মধ্যে এবং তার পরেও ব্যবহৃত হয়েছিল। আজকের আধুনিক যুগে আমরা লেখকত্ব এবং রয়্যালটি সমর্থন করার জন্য ক্রমাগত কপিরাইট আইন প্রয়োগ করছি।
=== <u>১৯৮০ সালের পূর্ববর্তী</u> ===
==== ইউনিক্স ====
বলা হয় [http://www.unix.org/ ইউনিক্স] হলো কম্পিউটিংয়ের প্রযুক্তিগত অগ্রগতির সূচনা। ১৯৭০-এর দশকের গোড়ার দিকে এটি ছিল সি প্রোগ্রামিং ভাষায় লেখা প্রথম অপারেটিং সিস্টেম। এর মূল স্রষ্টা কেন থম্পসন এবং ডেনিস রিচি ছিলেন বলে বিশ্বাস করা হয়।<ref>http://www.unix.org/what_is_unix/history_timeline.html</ref> এটি ছিল প্রথম ওপেন সোর্সড অপারেটিং সিস্টেম যা যে কেউ বিনামূল্যে যোগ করতে, উন্নত করতে এবং উন্নত করতে পারত।<ref>http://www.unix.org/what_is_unix.html</ref> লিনাক্স সহ এখন পর্যন্ত বেশিরভাগ অপারেটিং সিস্টেমের ভিত্তি ইউনিক্স।
=== <u>১৯৮০–১৯৮৯</u> ===
==== ইউজনেট ====
ওপেন সোর্স এবং মালিকানাধীন প্রযুক্তির সূচনা ১৯৮০ এর দশকের আগেই শুরু হয়েছিল। কিন্তু এই সময়ের আগে খুব বেশি কিছু সহজলভ্য ছিল না। কারণ ১৯৮০ সালের আগে [https://en.usenet.nl/ ইউজনেটের] আগমন ঘটেনি। বিশ্বব্যাপী ভাগাভাগি এবং সহযোগিতার প্রথম উপায় ছিল ইউজনেট। ইউজনেট প্রকাশের সাথে সাথে এটি ওপেন সোর্স তথ্য ভাগাভাগি এবং ফাইল ভাগাভাগি উভয়েরই সূচনা করে।
==== গ্নু প্রকল্প/মুক্ত সফটওয়্যার আন্দোলন ====
ওপেন সোর্স এবং মালিকানাধীন সফটওয়্যারের পরবর্তী ঐতিহাসিক মুহূর্ত ছিল রিচার্ড স্টলম্যানের দ্বারা GNU প্রকল্পের ভূমিকা। [https://www.gnu.org/ GNU] হলো ব্যবহারকারীদের স্বাধীনতাকে সম্মান করার আরেকটি অপারেটিং সিস্টেম প্রকল্প যা বিভিন্ন ওপেন সোর্স প্রোগ্রাম দ্বারা করা হয়েছে যা GNU সফটওয়্যার নিজেই তৈরি করে না। যখন GNU তৈরি হয়েছিল, তখন [http://www.gnu.org/philosophy/free-software-intro.en.html "মুক্ত সফটওয়্যার আন্দোলন"] শুরু হয়েছিল। মুক্ত সফটওয়্যার আন্দোলনের ধারণা হলো কম্পিউটার ব্যবহারকারীদের একটি সম্প্রদায় গঠনের স্বাধীনতা প্রাপ্য।
==== ৩৮৬বিএসডি ====
১৯৮০-এর দশকের শেষের দিকে [http://www.386bsd.org/ 386BSD-এর] কাজ শুরু হয়। ৩৮৬বিএসডি "জোলিক্স" নামেও পরিচিত। এটি ইউনিক্স থেকে আসা আরেকটি বিনামূল্যের অপারেটিং সিস্টেম। এটি ঐতিহাসিক মুহূর্তগুলোর আরেকটি অগ্রগতি কারণ এটি পরবর্তীতে FreeBSD এবং NetBSD-এর দিকে পরিচালিত করে।
=== <u>১৯৯০-১৯৯৯</u> ===
==== লিনাক্স ====
এই দশকটি ওপেন সোর্স এবং মালিকানাধীন সফটওয়্যারকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করেছে। অগ্রগতির পাশাপাশি, ১৯৯১ সালে লিনাস টরভাল্ডস লিনাক্স তৈরির সিদ্ধান্ত নেন। এটি GNU অপারেটিং সিস্টেমের উপর অগ্রসর হয়, যাতে একটি সম্পূর্ণ বিনামূল্যের এবং ওপেন সোর্স অপারেটিং সিস্টেম প্রদান করা যায়। লিনাক্সের প্রতিষ্ঠাতা ইউনিক্সের নিজস্ব সংস্করণ তৈরি করেছিলেন। তিনি নিজের অপারেটিং সিস্টেম তৈরি করতে চেয়েছিলেন, তবে আপনি কল্পনা করতে পারেন যে দশ মিলিয়ন লাইন কোড লিখতে কতটা সময় লাগবে, তাই তিনি ইন্টারনেটে তার দৃষ্টিভঙ্গি ভাগ করে নেন এবং ফলস্বরূপ অনেক কম্পিউটার উৎসাহী এতে যোগ দেন। মূলত এটি ছিল একটি কম্পিউটিং সিস্টেম যা যে কেউ তৈরি এবং ব্যবহার করতে সক্ষম। অপারেটিং সিস্টেমটিকে একই সাথে বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম এবং মাল্টিমিডিয়ামে সংহত করা একটি চ্যালেঞ্জ ছিল। যাইহোক, একবার কার্নেল, অপারেটিং সিস্টেমের ভিত্তি তৈরি হয়ে গেলে, বাকিগুলো পালাক্রমে অনুসরণ করা হয়।
==== লাল টুপি ====
১৯৯৩ সালে [https://www.redhat.com/en/open-source রেড হ্যাটের] প্রতিষ্ঠা ঘটে। রেড হ্যাট একটি লিনাক্স ডিস্ট্রিবিউশন ভিত্তিক কোম্পানি। এটি প্রমাণ করে যে ওপেন সোর্স সফটওয়্যার অত্যন্ত লাভজনক হতে পারে। তারা তাদের নীতিবাক্য পূরণ করার চেষ্টা করে:<div align="center">
<small>"প্রতিটি সমাধান শুরু হয় সমস্যা ভাগ করে নেওয়ার মাধ্যমে। প্রযুক্তি উন্মুক্তভাবে সমৃদ্ধ হয়, যেখানে মানুষ তাদের ধারণা ভাগ করে নেওয়ার এবং অন্যদের কাজের উপর ভিত্তি করে গড়ে তোলার জন্য স্বাধীন।"</small>
<small>"সৃষ্টি সর্বদা সহযোগিতার একটি কাজ" </small>
</div>
==== MySQL/Java 1.0 ====
১৯৯৫ সালে [https://www.mysql.com/ মাইএসকিউএল] এবং প্রথম [https://java.com/en/ জাভা] সোর্স প্রোগ্রামিং ভাষা উভয়ই প্রকাশিত হয়েছিল। মাইএসকিউএল হলো একটি ওপেন-সোর্স রিলেশনাল ডাটাবেস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম যা ISAM ভাষার উপর ভিত্তি করে তৈরি। জাভা ১.০ এর প্রথম পাবলিক রিলিজটিও ১৯৯৫ সালে [https://www.oracle.com/sun/index.html?PHPSESSID=8fd76773d26875481e097a4a27c7a6a1 সান মাইক্রোসিস্টেমস] দ্বারা প্রকাশিত হয়েছিল। ২০০৬ সালে OpenJDK চালু হওয়ার পর সান মাইক্রোসিস্টেম সমস্ত জাভা প্যাকেজ ওপেন সোর্সড প্রোগ্রাম তৈরি করে।<div align="center">
<small>জাভা ১.০ প্রতিশ্রুতি দিয়েছে "একবার লিখুন, যেকোনো জায়গায় চালান</small>
</div>
==== অ্যাপাচি ====
পরবর্তীতে দশকের শেষের দিকে আমরা [https://httpd.apache.org/ অ্যাপাচি প্রকাশের মাধ্যমে আরও অগ্রগতি দেখতে পাই।] অগ্রগতি স্থবির হয়ে পড়ার পর NCSA HTTPd সার্ভারগুলোতে সম্প্রসারণের প্রয়াসে Apache-র উ[প্র ভিত্তি তৈরি করা হয়েছিল Apache হলো একটি অবাধে উপলব্ধ ওয়েব সার্ভার। এটি একটি ওপেন সোর্স লাইসেন্সের অধীনে বিতরণ করা হয়।
==== নেটস্কেপ ====
১৯৯৮ সালে [http://isp.netscape.com/ নেটস্কেপ] তাদের ওয়েব ব্রাউজার ওপেন সোর্স করে দেয়। মজিলা হলোনেটস্কেপের তৈরি একটি মুক্ত সফটওয়্যার সম্প্রদায়। এটি ওপেন সোর্সড হওয়ার ফলে ব্যবহারকারীরা পণ্যটি ব্যবহার, বিকাশ এবং প্রসারের সুযোগ পান। <ref>https://www.mozilla.org/en-GB/</ref> এরপর মজিলা [https://www.mozilla.org/en-GB/about/ মজিলা ফায়ারফক্স] তৈরি করে।এটি আজও একটি সুপরিচিত ওয়েব ব্রাউজার।
==== ল্যাম্প ====
LAMP এর বেশিরভাগ ধারণা নিম্নরূপ।
<u>(L) লিনাক্স -</u> অপারেটিং সিস্টেম যা পুরো প্রক্রিয়াটিকে সমর্থন করে।
<u>(A) অ্যাপাচি</u> - অ্যাপাচি হলো একটি ওয়েব সার্ভার। এটি আপনাকে আপনার প্রয়োজনীয় তথ্য অর্জনের জন্য সিস্টেমের সাথে কীভাবে যোগাযোগ করতে হবে তা বলে। এটি একটি গ্রাফিক্যাল ইউজার ইন্টারফেসের (GUI) অনুরূপ। এটি সার্ভারগুলোকে একে অপরের সাথে কীভাবে ইন্টারঅ্যাক্ট করতে হয় তাও বলে।
<u>MySQL বা মাইএসকিউএল</u> হলো ডাটাবেজ। এখানেই সমস্ত তথ্য সংরক্ষণ করা হয় এবং ব্যবহারকারীর কাছে উপস্থাপন করার জন্য পুনরুদ্ধার করা হয়।
<u>PHP</u> - PHP হলো ব্যবহারকারীর কাছে সিস্টেমের সামগ্রিক সরবরাহ/ যেমন একটি মনিটর, স্পিকার এবং VDU। এটি ব্যবহারকারীকে সামগ্রিক অভিজ্ঞতা প্রদান করে।
কম্পিউটার ব্যবহারের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সবকিছুই ওপেন সোর্স সফটওয়্যারের মাধ্যমে করা হয়।
=== <u>২০০০-২০১০</u> ===
==== ওপেনঅফিস ====
২০০০-এর দশকেও ওপেন সোর্সড এবং মালিকানাধীন সফটওয়্যারের অগ্রগতি অসাধারণ ছিল। ২০০১ সালে ওপেনঅফিস প্রথম প্রকাশিত হয় যা পরবর্তীতে [https://www.openoffice.org/ অ্যাপাচি ওপেনঅফিস], [https://www.libreoffice.org/ লিব্রেঅফিস] ([https://www.openoffice.org/ Apache OpenOffice], [https://www.libreoffice.org/ LibreOffice]) এবং ওরাকল ওপেনঅফিসে শাখাভুক্ত হয় (এটিই একমাত্র ক্লোজড সোর্স যা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল)। ওপেনঅফিস ছিল একটি উন্মুক্ত উৎসের অফিস স্যুট প্রোগ্রাম যা মাইক্রোসফট অফিসের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে।
==== উবুন্টু ====
২০০৪ সালের মধ্যেই ডেবিয়ান-ভিত্তিক লিনাক্স ডিস্ট্রিবিউশন [http://www.ubuntu.com/ উবুন্টু] মুক্তি পায়। "উবুন্টু একটি ওপেন সোর্স সফটওয়্যার প্ল্যাটফর্ম। এটি স্মার্টফোন, ট্যাবলেট এবং পিসি থেকে শুরু করে সার্ভার এবং ক্লাউড সর্বত্র চলে।" উবুন্টুর লোগো প্রতীকটি "বন্ধুদের বৃত্ত" প্রতিনিধিত্ব করে। এটি ওপেন সোর্স সফটওয়্যারের সাথে সহযোগিতা প্রদর্শন করে। এটি একটি অত্যন্ত ঐতিহাসিক মুহূর্ত। কারণ এখন উবুন্টুর ২৪টিরও বেশি অফিসিয়াল রিলিজ থাকার পাশাপাশি অনেক অনানুষ্ঠানিক ভার্সনও রয়েছে।
==== গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ ====
এই আলোচনায় চারজন প্রভাবশালী কম্পিউটিং প্রতিভার কথা উল্লেখ করাও গুরুত্বপূর্ণ। তারা তাদের আবিষ্কারের মাধ্যমে বিশ্বকে মুগ্ধ করেছিলেন। ১৯৪৫ সালে স্নায়ুযুদ্ধের প্রাক্কালে <u>বুশ</u> মাইক্রো ফিল্ম ব্যবহার করে প্রথম কম্পিউটার চালু করেন। তিনি বিশ্বাস করতেন যে সকলেরই বিশ্ব জ্ঞানে প্রবেশাধিকার থাকা উচিত। এটি ছিল একটি অত্যন্ত কাল্পনিক পদ্ধতি। বুশ আর্থিক মূল্যের জন্য এই ক্ষেত্রটি অনুসরণ করেননি। বরং তিনি বিশ্বাস করতেন,প্রত্যেকেরই তথ্যের প্রাপ্যযোগ্যতা থাকা উচিত। এনিগমায় তার কাজের জন্য কুখ্যাত <u>টুরিং</u> এমন একটি যন্ত্র তৈরি করেছিলেন যা যেকোনো কিছু গণনা করতে সক্ষম ছিল। তথ্য ইনপুট করার এবং দ্রুত ধারাবাহিকভাবে কম্পিউটিং কোডের মাধ্যমে যন্ত্রের বোধগম্য ভাষাতে রূপান্তর করার সুযোগ পাওয়া যায়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় টুরিং সরকারি কোড এবং সাইবার স্কুলে কাজ করেছিলেন। টুরিংকে একটি দল বরাদ্দ করা হয়েছিল যেখানে তিনি জার্মান নৌ ক্রিপ্ট বিশ্লেষণের দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন। <u>এঙ্গেলবার্ট</u> যুক্তরাজ্যের অন্ধকার প্রধান প্রতিরক্ষার জন্য কাজ করেছিলেন। তিনি দৈত্যদের কাঁধে দাঁড়ানোর উপর বিশ্বাস করতেন এবং বুশ এবং টুরিংয়ের তৈরি পূর্ববর্তী কাজগুলো ব্যবহার করতেন। রিনি অনেক দুর্দান্ত জিনিস অর্জনের জন্য এটিকে প্রসারিত করেছিলেন। সকল ডেমোর জননী ১৯৬৯। তবে অন্য তিনজনের তুলনায় <u>নেলসন</u> ছিলেন খুবই রহস্যময়। নেলসন হাইপারটেক্সট, HTTP এবং মূলত ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব (www) তৈরিতে সহায়তা করেছিলেন। তিনি জানাডু নামে পরিচিত একটি প্রোগ্রামও তৈরি করেছিলেন। ধারণা করা হয়েছিল এটি ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবের চেয়ে বেশি দক্ষ হবে। তবে আগের তিনজনের বিপরীতে নেলসন ধারণাটি পেটেন্ট করতে এবং ফ্র্যাঞ্চাইজির মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে চেয়েছিলেন। দুর্ভাগ্যবশত নেলসনের ক্ষেত্রে এটি কাজ করেনি। শীঘ্রই ধারণাটি ব্যর্থ হয়ে যায়। এই সংক্ষিপ্ত ইতিহাস জুড়ে একটি মূল বিষয়বস্তু হলো সামরিক বাহিনীর সাথে সম্পর্ক এবং যোগাযোগ। যদি সামরিক বাহিনী এবং সম্ভবত বিশ্বযুদ্ধ না থাকত, তাহলে আমরা আজ উন্নয়নের ডিজিটাল জগতে যেখানে আছি সেখানে হয়তো থাকতাম না। এমনকি আইপি ইন্টারনেট প্রোটোকলও সামরিক বাহিনী থেকেই এসেছে/ তবে একটি বিষয় নিশ্চিত, আসলে ডিজিটাল প্রযুক্তি খুবই রাজনৈতিক।
== হ্যাকার নীতি ==
=== হ্যাকারের বিবর্তন: অতীত ও বর্তমান ===
"হ্যাকার" শব্দটির সাধারণ অর্থ বিভিন্ন প্রজন্মের কাছে ভিন্ন ভিন্ন। লেভি (১৯৬৮) বলেছেন, কম্পিউটার বিজ্ঞান জগতের লোকেরা "এই শব্দটিকে উপহাসের একটি রূপ হিসেবে ব্যবহার করত। এর অর্থ হ্যাকাররা হয় অলস সামাজিকভাবে বহিষ্কৃত অথবা "অপেশাদার" প্রোগ্রামার, যারা নোংরা "অমানবিক" কম্পিউটার কোড লিখেছিল"।<ref>Levy, Steven. 1986 ''Hackers: - Heroes of the Computer Revolution''</ref> লেভি হ্যাকার কী তা বর্ণনা করেছেন। তার তুলনায় ডগলাস (২০০২) হ্যাকারদের বর্ণনা করেছেন "একটি সংস্কৃতি হিসেবে, কম্পিউটার উৎসাহীদের একটি দল যারা এমন একটি জায়গা এবং পদ্ধতিতে কাজ করে যা সঠিকভাবে কীভাবে কাজ করে তা জানার জন্য সীমাহীন কৌতূহলের অনুভূতি দ্বারা সংজ্ঞায়িত করা যেতে পারে। তবে এই জ্ঞানকে আরও বিস্তৃত সাংস্কৃতিক ধারণা দ্বারা সংজ্ঞায়িত করা হয়"। <ref>Levy, Steven. 1986 ''Hackers: - Heroes of the Computer Revolution''</ref> আবার দুটি ভিন্ন প্রজন্ম হ্যাকার কী তা বিশ্বাস করে তার দুটি ভিন্ন সংজ্ঞা দেয়। হ্যাকিংয়ের এই ইতিহাসটি একটি জটিল কিন্তু আকর্ষণীয় ক্ষেত্র। কারণ একবিংশ শতাব্দীতে আমরা হ্যাকিংকে একটি অপরাধ হিসেবে জানি। কিন্তু আজকের বিশ্বে অগ্রগতির জন্যেই এটি ব্যবহার করা হয়েছিল। আবার লেভি (২০১৬) উদ্ধৃত করেছেন, "এটি ছিল ভাগাভাগি, উন্মুক্ততা, [[বিকেন্দ্রীকরণ]] এবং যেকোনো মূল্যে মেশিনের উন্নতি এবং বিশ্বকে উন্নত করার জন্য মেশিন হাতে পাওয়ার একটি দর্শন"। এই দর্শন বা নীতিশাস্ত্র তাদের সংস্কৃতির জন্য উপহার ছিল; এমন কিছু যা আমাদের মধ্যে যাদের কম্পিউটারে মোটেও আগ্রহ নেই তাদের জন্যও মূল্যবান। হ্যাকিংয়ের বিবর্তন দেখতে পাওয়া যায় যদি কেউ হ্যাকিংয়ের এই গতিবিধিটি অধ্যয়ন করে যা বর্তমানে "অজ্ঞাত" নামে পরিচিত। কারণ এই আন্দোলনটি শুরু হয়েছিল সহজ ট্রোলিং, অপ্রীতিকর উপাদান ভাগ করে নেওয়া এবং [[ফোরচান|4chan]] ওয়েবসাইটে "মিমস" এর মতো অদ্ভুত নতুন ইন্টারনেট অভিব্যক্তি তৈরির মাধ্যমে। হ্যাকাররা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির এই পটভূমি থেকে এসেছে এবং এটিকে "হ্যাকটিভিজম"-এ রূপান্তরিত করেছে। এটি কোনও উদ্দেশ্যকে সমর্থন, অসম্মান বা ব্যাহত করার সরাসরি উদ্দেশ্য নিয়ে হ্যাকিং। এই "অজ্ঞাত" ভাবে তৈরি করেছে। এগুলো হ্যাকিং বিবর্তনের একটি সহজ ফসল এবং অনেকেই ইতিবাচক হিসেবে দেখবেন এমন কাজ করেছে। যেমন [[কু ক্লাক্স ক্লান|কু ক্লাক্স ক্ল্যানের]] সদস্যদের উন্মোচন করা।
=== সৃজনশীল বনাম অপরাধী ===
কম্পিউটারের প্রাথমিক যুগের সাথে সাথে উন্নতির জন্য সর্বদাই জায়গা ছিল। প্রতি বছর বিভিন্ন হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যার দিয়ে কম্পিউটার আপগ্রেড করা হচ্ছে। এক অর্থে হ্যাকাররা সবসময়ই বোঝাপড়ার জন্য চেষ্টা করত। কিন্তু এগিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে তারা সফটওয়্যারও আপগ্রেড করছিল। অ্যালবার্টস এবং ওল্ডেনজিয়েল (২০১৪) এর বর্ণনা অনুযায়ী হ্যাকার ছিলেন একজন ব্যক্তি "যিনি ইচ্ছাকৃতভাবে বাইরের ব্যক্তির ভূমিকা বেছে নেন, জটিলতাগুলো আয়ত্ত করতে হয়, তালা ভাঙতে হয় এবং বহিষ্কারকে অনুপ্রবেশের মাধ্যমে মোকাবেলা করতে হয়"। তারা আরও ব্যাখ্যা করে, হ্যাকাররা "কোনও ক্ষতি না করার জন্য" অনুপ্রবেশের একটি ছাপ রেখে যেতে চেয়েছিল। বিশ্বজুড়ে হ্যাকার সংস্কৃতিকে ভিন্নভাবে দেখা হয়। অনেক দেশ এই সংস্কৃতিকে বিভিন্ন রূপে ব্যবহার করে। উদাহরণস্বরূপ, যুগোস্লাভ কিশোর-কিশোরী এবং ছাত্ররা পার্টি ও সঙ্গীতের উপসংস্কৃতির অংশ হিসেবে কম্পিউটার "ঝাঁকুনি" দিত। অন্যদিকে ফিনিশ গণতন্ত্রগুলো এটিকে "উদীয়মান প্রোগ্রামারদের তাদের কাজ দেখানোর জন্য" "অনুষ্ঠানের আচার" হিসেবে ব্যবহার করত। অন্যদিকে [[Wau holland|"ওয়াউ হল্যান্ড"]] নামে একজন জার্মান হ্যাকারের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক কার্যকলাপের অভিযোগ আনা হয়েছিল। এর মাধ্যমে তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে একটি ব্যাংকের নিরাপত্তা ত্রুটিগুলো দেখানোর জন্য হ্যাক করেছিলেন। তারা যে সিস্টেমটি হ্যাক করছিল তা ছিল একটি নতুন সিস্টেম যা ব্যাংকটি একটি ইন্টারেক্টিভ টেলিটেক্সট সিস্টেম ( [[Btx (form factor)|Btx]] ) স্থাপন করেছিল। এর প্রধান নিরাপত্তা ত্রুটি ছিল। হ্যাকাররা পাসওয়ার্ডগুলো হেরফের করতে এবং ট্র্যাক করতে সক্ষম হয়েছিল। এই কাজ করে হল্যান্ড এবং তার সহযোগী এক রাতে তাদের অ্যাকাউন্টে €১৩৫,০০০ ট্রান্সফার করতে সক্ষম হন। তাদের ব্যাংক হ্যাক করার চার বছর পর ওয়ার্নারিকে আরও কম্পিউটার অপরাধের জন্য ফ্রান্সে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। ১৯৮৬/৮৭ সালে [[নাসা|নাসার]] মতো সরকারি কর্তৃপক্ষ এবং গবেষণা সংস্থাগুলোর ব্যবহৃত VAX কম্পিউটারগুলোতে একটি বাগ আবিষ্কার করে হ্যাকাররা এই কম্পিউটারগুলোতে প্রাপ্যতা পেতে সক্ষম হয়। এরপর তার বিরুদ্ধে ১০০টি কম্পিউটার থেকে ডেটা প্রাপ্যতা, কপি এবং ধ্বংস করার অভিযোগ আনা হয়। হ্যাকিং জগতের অপরাধমূলক দিকের আরেকটি উদাহরণ হতে পারে ১৯৯০ সালের AT&amp;T-এর দূরপাল্লার টেলিফোন সুইচিং সিস্টেমটি ক্র্যাশ করার ঘটনা। স্টার্লিং (১৯৯৪) ব্যাখ্যা করেছেন, এই দুর্ঘটনার সময় ৬০,০০০ মানুষ নয় ঘন্টার জন্য টেলিফোন পরিষেবা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল। এটি শুরু হয়েছিল কারণ ম্যানহাটনের একটি সুইচিং-স্টেশন AT&T-এর নিজস্ব সিস্টেমে পাওয়া একটি বাগের কারণে ক্র্যাশ হয়ে গিয়েছিল।
=== কম্পিউটার/হ্যাকিং নীতিশাস্ত্রের গঠন ===
হ্যাকিংয়ের ক্ষেত্রে আমরা জানি যে মানুষ বিভিন্ন কারণে এটি করে। ভালো হোক বা খারাপ, তুলনা করার মতো কোনও মধ্যম ক্ষেত্র নেই। টেলর (১৯৯৯:১৩৬) যা বর্ণনা করেছেন যে "হ্যাকিংয়ের নৈতিক জটিলতার মুখোমুখি হলে, তারা এবং আমাদের পরিস্থিতির মেরুকৃত অবস্থানের মধ্যে থাকা নৈতিক নিশ্চিততাগুলো গ্রহণ করার প্রলোভন দেখা দেয়"। গত দশকে প্রযুক্তির অগ্রগতির সাথে সাথে, এটি হ্যাকিং প্রজন্মকে তাদের নিজস্ব জ্ঞান, নতুন হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যার উন্নত করার জন্য বিভিন্ন খেলার মাঠ উপহার দিয়েছে। হ্যাকিং সম্ভব করার অন্যতম প্রধান কারণ হলো গোপনীয়তার সমসাময়িক সংস্কৃতি যা সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং অর্থনৈতিক মিথস্ক্রিয়ার একটি বৃহৎ অংশকে নিয়ন্ত্রণ করে। গোপনীয়তার কারণে হ্যাকাররা বিচ্ছিন্ন বোধ করে। কিন্তু সুবিধাও পায়। আমরা জানি হ্যাকাররা গোপনীয়তার বিরোধিতা করে, তারা নিজেদের বিরোধিতা করে, তারা যে পদ্ধতি বা পদ্ধতিটি পরিচালনা করে তা কাজে লাগিয়ে, প্রযুক্তি এবং সমসাময়িক সংস্কৃতির সাথে তাদের অবস্থানকে জটিল করে তোলে। ডগলাস (২০০২:১১৫) ব্যাখ্যা করেন যে হ্যাকিংয়ের প্রাথমিক প্রজন্মে, ধারণা, তথ্য ভাগাভাগি করার পাশাপাশি প্রযুক্তি প্রাপ্যতাের জন্য সম্প্রদায়গুলোর উপর প্রচুর নির্ভর করা হত। ১৯৫০/৬০ এর দশকে, সম্প্রদায়গুলো এমআইটি, হার্ভার্ড, কর্নেল এবং আরও কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবগুলোকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছিল। <ref>Douglas, Thomas 2002 ''Hacking Culture''</ref>
টেলর আরও বলেন,"হ্যাকাররা এমন বাচ্চাদের মতো যারা রেললাইনে দশ পেন্সের টুকরো রেখে দেখে যে এটি বাঁকছে কিনা। কিন্তু তারা বুঝতে পারে না যে তারা পুরো ট্রেনটি রেলিং থেকে নামিয়ে দেওয়ার ঝুঁকি নিচ্ছে"। হ্যাকারদের কীভাবে উপস্থাপন করা হয় তা দেখার একটি ভালো উপায় হলো "মিস্টার রোবট"। এটি এমন একটি প্রোগ্রাম যেখানে একদল হ্যাকার একটি বহুজাতিক কর্পোরেশনকে আক্রমণ করে বিশ্বকে ঋণমুক্ত করতে বদ্ধপরিকর। টেলর (১৯৯৯) উল্লেখ করেছেন,ব্যবসায়িক নীতিশাস্ত্রের একটি গবেষণার সময়, এমন কিছু বিষয় উঠে এসেছে যা দেখায় যে শিল্পের মধ্যে নীতিগত সিদ্ধান্তগুলো আরও কঠিন এবং বয়স্ক জনগোষ্ঠীর কাছ থেকে আসার প্রবণতা রয়েছে। কম্পিউটার শিল্পের সদস্যরা সাধারণত সাধারণ হ্যাকারদের তুলনায় বয়স্ক হন এবং কম্পিউটারকে তাদের দৈনন্দিন জীবনের একটি হাতিয়ার হিসেবে দেখেন, অন্যদিকে হ্যাকাররা কম্পিউটারকে একটি শখ হিসেবে দেখেন। এই বয়সের পার্থক্য সম্ভবত একটি কারণ যার জন্য নিরাপত্তা শিল্প এবং গোপন কম্পিউটারের সদস্যদের নীতিগত দৃষ্টিভঙ্গিতে মৌলিক পার্থক্য রয়েছে।
==== 'অলিখিত আইন' ====
অনেক কম্পিউটার ভক্ত এমন একটি কাঠামো অনুসরণ করেন যাকে অনেকে হ্যাকারদের বাইবেল বলে। এটি এমন কিছু অলিখিত নিয়মে। তারা বিশ্বাস করে এভাবেই সফটওয়্যার লেখা এবং সরবরাহ করা উচিত। তারা সেই অনুযায়ী আরও উন্মুক্ত এবং উদার কিছু পরিবর্তন করতে চায়। এটি মূলত সফটওয়্যারের সহজলভ্যতা এবং এটি ব্যবহার করতে ইচ্ছুক সকলের কাছে এর সহজলভ্যতার সাথে সম্পর্কিত। সকল তথ্য বিনামূল্যে থাকা উচিত। কর্তৃপক্ষের উপর অবিশ্বাস করুন, বিকেন্দ্রীকরণকে উৎসাহিত করুন। দ্বিতীয়ত এই ধারণাটি উপস্থাপন করে যে, বিশ্বজুড়ে বা এমনকি বিভিন্ন দেশে একাধিক সার্ভার থাকা উচিত। সেগুলোতে একই তথ্য জমা থাকবে, যাতে অন্য কোনও সফটওয়্যার এবং/অথবা প্রোগ্রাম ব্যর্থ হলে আপনি সর্বদা প্রাপ্যতা পেতে পারেন। একাধিক সার্ভার থাকার ফলে বৃহত্তর শ্রোতা তৈরি হবে। এর ফলে প্রোগ্রামগুলোতে সবার প্রাপ্যতা থাকার পাশাপাশি কর্মক্ষমতাও উন্নত মানের হবে। হ্যাকারদের বিচার করা উচিত তাদের হ্যাকিং দিয়ে; কোনো ডিগ্রি, বয়স, জাতি বা পদের মতো ভুয়া মানদণ্ড দিয়ে নয়। আমি বিশ্বাস করি এটি বিশেষ করে আধুনিক যুগ এবং সমাজের সাথে গভীরভাবে সম্পর্কিত যেখানে জীবনের সকল ক্ষেত্রেই সমতার জন্য লড়াই অব্যাহত রয়েছে। বিশেষ করে আজকের ডিজিটাল জগতে এমন অনেক তরুণ আছেন যারা অসাধারণ কোডিং তৈরি করতে সক্ষম যা একটি IOS সিস্টেমের মধ্যে একত্রিত করা যেতে পারে। এগুলো বিভিন্ন মাল্টি মিডিয়ামে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে পারে। আপনি কম্পিউটারে শিল্প ও সৌন্দর্য তৈরি করতে পারেন। এটি কম্পিউটিং জগতের সকল মাত্রার জন্য দায়ী, তা ডিজিটাল শিল্প, প্রোগ্রামিং, চলচ্চিত্র নির্মাণ হোক... তালিকাটি অন্তহীন। বলা বাহুল্য, সবই শিল্পের উপাদান। এগুলোকে হালকাভাবে নেওয়া উচিত নয়। কম্পিউটার জীবনকে আরও ভালোর দিকে বদলে দেয়। প্রযুক্তি ক্রমাগত বিকশিত হচ্ছে এবং উন্নতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা এখন বধির এবং অন্ধদের জন্য এমন ব্যবস্থা তৈরি করতে সক্ষম হয়েছি যা মিথস্ক্রিয়া এবং যোগাযোগের পাশাপাশি আরও অনেক কিছুতে সহায়তা করে যা অসংখ্য ব্যক্তি এবং পরিবারকে সহায়তা করে।
== ক্রিয়েটিভ কমন্স বনাম কপিরাইট ==
=== ক্রিয়েটিভ কমন্স কী? ===
২০০১ সালে লরেন্স লেসিগ, হাল অ্যাবেলসন এবং এরিক ইল্ড্রেড অলাভজনক সংস্থা '''ক্রিয়েটিভ কমন্স (CC)''' প্রতিষ্ঠা করেন। এটি অন্যদের জন্য উপলব্ধ সৃজনশীল কাজ বাড়ানোর জন্য চেষ্টা করছে। এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা আইনগতভাবে ভিত্তি করে তৈরি করতে এবং অন্যদের সাথে ভাগ করতে পারেন। ক্রিয়েটিভ কমন্স লাইসেন্সগুলি জনসাধারণের জন্য বিনামূল্যে প্রকাশিত হয়। ক্রিয়েটিভ কমন্স সম্পর্কিত প্রথম নিবন্ধটি একটি সাধারণ আগ্রহের প্রকাশনায় হাল প্লপকিনের “All Hail Creative Commons Stanford professor and author Lawrence Lessig plans a legal insurrection” (২০০২)-এ প্রকাশিত হয়। ২০০৪ সালের নভেম্বর পর্যন্ত প্রায় ৮৮০ মিলিয়ন কাজ ক্রিয়েটিভ কমন্স লাইসেন্সের আওতায় লাইসেন্সপ্রাপ্ত।<ref>[https://creativecommons.org/licenses] , About the Licenses – Creative Commons.</ref>
'''ক্রিয়েটিভ কমন্সের বিভিন্ন দিক'''
ক্রিয়েটিভ কমন্সের অনেক ধরণের আছে, যেগুলো আপনাকে বিভিন্ন উপায়ে একটি কাজ ব্যবহার করার সুযোগ দেয়। এটি ব্যক্তির লাইসেন্সের উপর নির্ভর করে। কারণ প্রতিটি কাজের সাথে আপনি কী করতে পারবেন এবং কী করতে পারবেন না তার নিয়ম রয়েছে। নিচে কয়েকটি তালিকাভুক্ত উদাহরণ দেওয়া হলো। মূলত স্কেল শর্তাবলী প্রদান করে, আপনি বিভিন্ন উপায়ে কিছু পুনঃব্যবহার করতে পারেন, সাধারণত এটি শর্তাবলীতে বর্ণিত থাকে। এটি ছোট মুদ্রণ নামেও পরিচিত।
'''পাবলিক ডোমেইন'''
পাবলিক ডোমেইন শব্দটি এমন সৃজনশীল উপকরণগুলোকে বোঝাতে ব্যবহৃত হয় যা সম্পত্তি আইন, কপিরাইট, ট্রেডমার্ক বা পেটেন্ট আইন দ্বারা সুরক্ষিত নয়। এই কাজগুলোর মালিক 'জনসাধারণ', কোনও একক ব্যক্তি নন। পাবলিক ডোমেইন উপকরণ ব্যবহারের জন্য অনুমতির প্রয়োজন নেই কারণ কেউ কখনও উপকরণের অধিকার দাবি করতে পারে না। <ref>[http://fairuse.stanford.edu/overview/public-domain/welcome/] , Copyright & Fair Use – Stanford University Libraries.</ref>
চারটি সাধারণ সম্ভাবনা রয়েছে যা উপকরণ বা পণ্যগুলোকে পাবলিক ডোমেইন করতে পারে: <ref>[http://fairuse.stanford.edu/overview/public-domain/welcome/] , Copyright & Fair Use – Stanford University Libraries (Extended).</ref>
* কপিরাইট মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে।
* কপিরাইট মালিক কপিরাইট নবায়ন নিয়মের পদ্ধতি সঠিকভাবে অনুসরণ করেননি।
* কপিরাইট মালিক ইচ্ছাকৃতভাবে একটি উপাদান বা পণ্য পাবলিক ডোমেইনে রাখেন।
* কপিরাইট আইন এই বিশেষ ধরণের উপাদানকে রক্ষা করতে পারে না।
কপিরাইট জনসাধারণের জন্য, যাতে তারা সফটওয়্যারটি ব্যবহার করতে পারে, কাজের অংশ... ইত্যাদি, যেমনটা তারা চায়। এর অর্থ হলো তারা এটি সম্পাদনা করতে এবং তাদের ইচ্ছামতো পুনরায় ব্যবহার করতে সক্ষম। এর একটি গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ হলো ওয়াল্ট ডিজনির মিকি মাউসের সৃষ্টি। মিকি মাউসের গ্রাফিক্স এবং ধারণাটি পাবলিক ডোমেইনে রয়েছে, অর্থাৎ বিবিসির মতো অন্যান্য সংস্থাগুলো যদি ইচ্ছা করে তবে এই ধারণাটি একটি স্কেচে ব্যবহার করতে পারে। এর মানে হলো, যদিও আমরা মিকি মাউসকে একটি কার্টুন শিশু ক্লাসিক হিসেবে যুক্ত করেছি, আমরা তাকে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের একটি স্কেচে দেখতে পাচ্ছি।
=== By ===
"By" আপনাকে একটি কাজকে আপনি যেভাবে চান তেমন করে রিমিক্স, সম্পাদনা এবং বিতরণ করার অনুমতি দেয়। তবে, আপনাকে বিবেচনা করতে হবে কাজটি কোথা থেকে এসেছে এবং মূল সৃষ্টিকারীর গুরুত্বকে স্বীকৃতি দিতে হবে।
'''অ্যাট্রিবিউশন'''
CC BY Attribution অন্যদের এমন কাজ বিতরণ, সম্পাদনা এবং যোগ করার সুযোগ দেয় যা ইতিমধ্যেই তৈরি করা হয়েছে, যতক্ষণ না তারা মূল লেখককে কৃতিত্ব দেয়। মূলত এটি সবচেয়ে সুবিধাজনক লাইসেন্স। এটি আপনাকে আপনার প্রয়োজন অনুসারে নিবন্ধটি তৈরি করতে সক্ষম করে।
'''অ্যাট্রিবিউশন-শেয়ারঅ্যালাইক'''
CC BY-SA এই লাইসেন্সটি আপনাকে অ্যাট্রিবিউশন লাইসেন্সিংয়ের মতোই কাজ করার সুযোগ দেয়, তবে এটি কেবলমাত্র বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে সম্পন্ন করা হয় এবং তারা তাদের নতুন সৃষ্টিগুলোকে একই শর্তে ক্রেডিট এবং লাইসেন্স দেয়। অ্যাট্রিবিউশন- শেয়ারঅ্যালাইককে প্রায়ই 'কপিলেফট' ফ্রি এবং ওপেন সফটওয়্যার লাইসেন্স বলা হয়। উইকিপিডিয়া এই ধরণের লাইসেন্স ব্যবহার করে।
'''অ্যাট্রিবিউশন-নোডেরিভস'''
CC BY-ND এই লাইসেন্সটি বাণিজ্যিক এবং অ-বাণিজ্যিক উভয় ক্ষেত্রেই পুনর্বণ্টনের সুযোগ দেয়, যতক্ষণ না এটি অপরিবর্তিত এবং সম্পূর্ণরূপে আপনার কৃতিত্বের সাথে পাস করা হয়।
'''অ্যাট্রিবিউশন-অ-বাণিজ্যিক'''
CC BY-NC অ্যাট্রিবিউশন-শেয়ারঅ্যালাইকের অনুরূপ, এই লাইসেন্সটি আপনাকে কাজ যোগ করতে, পরিবর্তন করতে এবং নির্মাণ করতে সক্ষম করে, তবে তা বাণিজ্যিক নয় এমন পরিবেশেও। নতুন সৃষ্টিকর্মকে আপনার পরিবর্তন এবং অ-বাণিজ্যিক উপাদান স্বীকার করতে হবে, তবে এটি একই লাইসেন্সের অধীনে হতে হবে না।
'''অ্যাট্রিবিউশন-ননকমার্শিয়াল-শেয়ারঅ্যালাইক'''
CC BY-NC-SA অ্যাট্রিবিউশন-ননকমার্শিয়ালের মতো মূল পার্থক্য হলো যে আপনাকে একই শর্তে নতুন কাজের লাইসেন্স দিতে হবে।
'''অ্যাট্রিবিউশন-ননকমার্শিয়াল-নোডেরিভস'''
CC BY-NC-ND এই লাইসেন্সটি সবচেয়ে সীমাবদ্ধ, শুধুমাত্র অন্যদের আপনার কাজ ডাউনলোড করতে এবং অন্যদের সাথে শেয়ার করতে দেয় যতক্ষণ না তারা মূল লেখককে কৃতিত্ব দেয়।
'''প্রভাব'''
ব্রাউসার্ড ক্রিয়েটিভ কমন্সকে কপিলেফট আন্দোলনের অগ্রভাগে বলে বর্ণনা করেছেন। এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে "সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত" কপিরাইটের একটি বিকল্প প্রদান করার চেষ্টা করছে (২০০৭)। বিকল্পভাবে, ডেভিড বেরি ক্রিয়েটিভ কমন্সকে বুদ্ধিজীবী সম্পত্তির বিষয়টিতে আগ্রহ তৈরি করার জন্য এবং "তথ্য যুগে" "কমন্স" এর ভূমিকা পুনর্বিবেচনা করার জন্য কৃতিত্ব দেন, তিনি বলেন "ক্রিয়েটিভ কমন্সে এমন প্রতিষ্ঠানিক, ব্যবহারিক এবং আইনগত সহায়তা রয়েছে যা افراد এবং গোষ্ঠীগুলোকে সংস্কৃতি নিয়ে আরও স্বাধীনভাবে পরীক্ষাগুলো এবং যোগাযোগ করতে চায়।" (বেরি, ডি, ২০০৫)। লেস্টিগ, অন্যদিকে আধুনিক সংস্কৃতিকে ঐতিহ্যবাহী কনটেন্ট বিতরণকারীদের দ্বারা আধিপত্যে ছিল বলে বর্ণনা করেছেন, সাংস্কৃতিক পণ্য যেমন সঙ্গীত এবং সিনেমার উপর মনোপলি বজায় রাখতে বা বৃহত্তর করতে, তিনি বলেছেন "ক্রিয়েটিভ কমন্স এই বিধিনিষেধগুলোর বিকল্প দিতে পারে" (লেস্টিগ, ২০০৬)।
== ওপেন সোর্স এবং মালিকানাধীন সফটওয়্যারের উদাহরণ ==
=== ইউনিক্স এবং জিএনইউ ===
[http://www.unix.org/ ইউনিক্স] ১৯৬৯ সালে বেল ল্যাবসে তৈরি করা হয়েছিল এবং এটি কম্পিউটিং ইতিহাসের প্রাচীনতম অপারেটিং সিস্টেমগুলোর মধ্যে একটি। এটিই সেই ভিত্তি যার উপর Mac OS X নির্মিত। এটি অনেকগুলো ভিন্ন মেশিনে চালানো যেতে পারে, এবং UNIX কম্পিউটারগুলো নেটওয়ার্কগুলোতে একসাথে কাজ করতে পারে। ইউনিক্স ছিল একটি মালিকানাধীন সিস্টেম কারণ বেল ল্যাবস কপিরাইট সুরক্ষিত রেখেছিল যাতে এটি একটি বন্ধ সিস্টেম ছিল যা ভাগ করা যেত না। একটি সিস্টেমে কাজ করার জন্য UNIX কোডটি সোর্স কোড বই থেকে ম্যানুয়ালি প্রবেশ করতে হত। এটি আজ আমাদের কাছে অত্যন্ত অদক্ষ বলে মনে হয়।
ওপেন সোর্স নেটওয়ার্কের উন্নয়নে রিচার্ড স্টলম্যান ছিলেন মৌলিক ভূমিকা পালনকারী। তিনি UNIX কে আরও ভাগ করে নেওয়ার যোগ্য উন্মুক্ত সিস্টেমে রূপান্তর করতে চেয়েছিলেন। ১৯৮৪ সালে তিনি [http://www.fsf.org/ ফ্রি সফটওয়্যার ফাউন্ডেশন] (FSF) তৈরি করেন। FSF-এর মূল লক্ষ্য ছিল সফটওয়্যারকে আরও উন্মুক্ত এবং প্রাপ্যতাযোগ্য করে তোলা, ঠিক যেমন প্রাথমিক কম্পিউটিং বুদ্ধিমত্তা এবং বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার ভাগ করে নেওয়ার উপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। স্টলম্যান GNU ("GNU is not UNIX") আবিষ্কার করেন UNIX কে নতুনভাবে পুনর্নির্মাণ করে যাতে এটি উন্মুক্ত এবং ভাগ করে নেওয়া যায়, যাতে ব্যবহারকারীরা তাদের ইচ্ছামত কোডটি মানিয়ে নিতে এবং পরিবর্তন করতে পারে। GNU যে কোনও সিস্টেমে চলতে সক্ষম ছিল যা ইতিমধ্যেই UNIX সমর্থন করে। স্টলম্যান GNU-কে একটি নতুন সিস্টেমের অধীনে লাইসেন্স দিয়েছিলেন যার নাম জেনারেল পাবলিক লাইসেন্স (GPL। এটি "কপিলেফট" নামেও পরিচিত) যাতে GNU-কে মালিকানাধীন সফটওয়্যারে পরিণত হতে না পারে।
=== লিনাক্সের সাফল্য ===
লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেম একটি ওপেন সোর্স প্রকল্পের একটি গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ যা ক্রমশ শক্তিশালী হচ্ছে। এই প্রকল্পের সহযোগিতার সম্ভাবনাগুলো নিজেই নেটওয়ার্কের শক্তির প্রতিনিধিত্ব করে। কারণ এর প্রাথমিক পর্যায়ে যখন খুব কম অবদানকারী অংশগ্রহণ করছিলেন তখনও তাদের সারা বিশ্বে পাওয়া যেত। এই ব্যবস্থার সাফল্যের পেছনে অনেকগুলো কারণ রয়েছে, যেমন সম্পত্তির অধিকারের প্রতি বিশেষ দৃষ্টিভঙ্গি যা এর লাইসেন্স গঠন করে। লিনাক্সের [[গ্নু জেনারেল পাবলিক লাইসেন্স|জেনারেল পাবলিক লাইসেন্স]] (GPL) সিস্টেমের ক্রমাগত উন্নয়নকে এর উপর ভিত্তি করে তৈরি হিসেবে স্বীকৃতি দেয়, তবে এটি পুনর্বণ্টনের সময় এর উপর কোনও বিধিনিষেধ আরোপের সুযোগ দেয় না। এটি বার্কলে সফটওয়্যার ডিস্ট্রিবিউশন (BSD) লাইসেন্সের একটি বিকল্প। এটি প্রোগ্রামারদের সিস্টেম উন্নত করার জন্য একই স্বাধীনতা প্রদান করে না।
লিনাক্সের সাফল্যের আরেকটি কারণ হলো প্রকল্পের জন্য অব্যাহত, ঐক্যবদ্ধ সমর্থন। এটি প্রকল্প নেতাদের দ্বারা গৃহীত সিদ্ধান্ত এবং নিয়ম প্রত্যাখ্যান করার ঝুঁকি সম্পর্কে বোঝার কারণে। যারা প্রস্তাবিত কোড পরিবর্তন গ্রহণ করতে ব্যর্থ হন, তাদের জন্য প্রাথমিক প্রকল্প থেকে আলাদা হয়ে তাদের পরিবর্তনগুলো বাস্তবায়িত করে একটি নতুন প্রকল্প স্থাপন করার সুযোগ রয়েছে, যাকে "ফর্কিং" বলা হয়। <ref>Weber, S. (2004). ''Success of Open Source.'' Cambridge: Harvard University Press, p.64</ref> যদিও কিছু ডেভেলপার এটিকে ওপেন সোর্স প্রোগ্রামিংয়ের একটি অপরিহার্য অধিকার হিসেবে দেখেন, তবুও এই প্রক্রিয়ায় ঝুঁকি রয়েছে। লিনাক্সের ক্ষেত্রে, প্রলিফিক ফর্কিং কর্মীদের বিভক্ত করার এবং সামগ্রিক উৎপাদনশীলতা হ্রাস করার ঝুঁকি বহন করে। অধিকন্তু, আরও প্রকল্পের সাথে সাথে একটি প্রকল্পে উল্লেখযোগ্য সমস্যা দেখা দেওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। এটি প্রতিটি প্রকল্পের উপর খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে, ফর্কিংয়ের মাধ্যমে উদ্ভূত প্রকল্প থেকে শুরু করে প্রাথমিক প্রকল্প পর্যন্ত। <ref>Weber, S. (2004). ''Success of Open Source.'' Cambridge: Harvard University Press, p.159</ref> দক্ষতা এবং উৎপাদনশীলতার এই ভাঙ্গনের ফলে বেশ কয়েকটি প্রকল্প, সম্ভবত সবগুলোই ব্যর্থ হতে পারে। লিনাক্সের দীর্ঘ জীবনকাল এবং অব্যাহত, দীর্ঘমেয়াদী সহযোগিতার সম্ভাবনা উপরে উল্লিখিত ঝুঁকিগুলোর জন্য ঝুঁকি নেওয়ার প্রবণতাকে নিরুৎসাহিত করে, তাই এটি এখনও পর্যন্ত এটির অভিজ্ঞতা লাভ করেনি। <ref>Weber, S. (2004). ''Success of Open Source.'' Cambridge: Harvard University Press, p.159</ref>
ওপেন সোর্স ফরম্যাটের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সুবিধা থেকে লিনাক্সও উপকৃত হয়। ঐতিহ্যবাহী মালিকানাধীন ব্যবস্থায়, প্রত্যেকের কাছ থেকে প্রায় সমান পরিমাণে কাজের অবদান আশা করা হয়। তবে ওপেন সোর্সে, অবদানকারীদের একটি ছোট শতাংশের জন্য কাজের একটি বড় অংশ সম্পাদন করা সাধারণ, এবং বিপুল সংখ্যক অপ্রাপ্তবয়স্ক অবদানকারীদের জন্য কেবল এক বা দুটি অবদান রাখা স্বাভাবিক। তবুও, জর্ডান যুক্তি দেন যে একটি ওপেন সোর্স প্রকল্পের প্রেক্ষাপটে, একজন ব্যক্তি এমন একটি কাজ সম্পন্ন করতে পারেন যা অন্যথায় সম্পন্ন নাও হতে পারে। যদি একজন ব্যক্তি মাত্র একটি অবদানের মাধ্যমেও গ্রুপ প্রকল্পের উন্নতি করেন, তাহলে সকলেই আরও ভালো পণ্য পেয়ে উপকৃত হবেন।
পরিসংখ্যান থেকে জানা যায় যে ইন্টারনেটের ৩৬.২% ওয়েবসাইট লিনাক্স ব্যবহার করে। এরিকের মতে, লিনাক্স একটি বিকেন্দ্রীভূত উন্নয়ন পদ্ধতি [http://www.fao.org/docs/up/easypol/342/decen_dev_in_agri_012en.pdf] গ্রহণ করেছে। "ক্যাথেড্রাল অ্যান্ড দ্য বাজার" এবং অনুরূপ কাজে এস রেমন্ডের পরীক্ষা। এই পদ্ধতির ফলে অবদানকারীরা একটি সংবেদনশীলহীন সাংগঠনিক কাঠামোর মধ্যে ক্রমাগত কাজ করতে সক্ষম হন। লিনাক্সের অপারেটিং সিস্টেমের বৈশিষ্ট্যগুলোও এর সাফল্য বিশ্লেষণ করার সময় বিবেচনা করার মতো আরেকটি সম্ভাব্য কারণ। লিনাক্স এবং ইউনিক্সের মতো অন্যান্য অপারেটিং সিস্টেমের মধ্যে প্রযুক্তিগত বৈপরীত্য রয়েছে যা লিনাক্সের সাফল্য নিয়ে আলোচনা করার সময় মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ। একটি নির্দিষ্ট উৎস অনুসারে, কার্নেলের গণিত কোপ্রসেসর ব্যবহার না করেই 387-FPU নির্দেশাবলী এবং সিস্টেম অনুকরণ করার ক্ষমতা রয়েছে এবং একাধিক প্রোগ্রাম চালানোর ক্ষমতা রয়েছে যার জন্য ফ্লোট-পয়েন্ট গণিত ক্ষমতার একটি স্তর প্রয়োজন। লিনাক্স ডেটা স্টোরেজের জন্য বিভিন্ন ফাইল সিস্টেম সমর্থন করে, এবং ext2 ফাইল সিস্টেমের মতো। এটি বিশেষভাবে লিনাক্সের জন্য তৈরি করা হয়েছিল।
=== অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস ===
==== অ্যান্ড্রয়েডের উন্নয়ন ====
[[চিত্র:Android_robot.png|থাম্ব| অ্যান্ড্রয়েড লোগো]]
২০০৭ সালের ৫ নভেম্বর তারিখে গুগলের মোবাইল ফোন অপারেটিং সিস্টেম [[Android(operating system)|অ্যান্ড্রয়েড]] সর্বজনীনভাবে আত্মপ্রকাশ করে। এর বিশ্বব্যাপী প্রবর্তন [[ওপেন হ্যান্ডসেট অ্যালায়েন্স|ওপেন হ্যান্ডসেট অ্যালায়েন্সের]] সৃষ্টি এবং প্রবর্তনের সাথেও সম্পর্কিত। কোম্পানিগুলোর একটি কনসোর্টিয়াম যারা তাদের পণ্যগুলোতে নতুন তৈরি অ্যান্ড্রয়েড সফটওয়্যার প্রয়োগ করে। কনসোর্টিয়ামটি জনসমক্ষে প্রকাশিত হওয়ার সময় এর ৩৪ সদস্যের তালিকায় টি-মোবাইল, [[স্যামসাং ইলেকট্রনিক্স]], [[এইচটিসি]] এবং [[সনি|সনির]] মতো কোম্পানিগুলো অন্তর্ভুক্ত ছিল। পরবর্তী বছরগুলোতে, [[তোশিবা]], এসার এবং [[ভোডাফোন|ভোডাফোনের]] মতো কোম্পানিগুলো যোগদানের সাথে সাথে সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। <ref>http://www.cnet.com/uk/news/googles-open-handset-alliance-gains-14-new-members/</ref> এই জোটটি ছিল গুগলের অ্যান্ড্রয়েডকে একটি উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যার হিসেবে বিকাশের সিদ্ধান্তের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপজাত।
রিচ মাইনার, [[অ্যান্ডি রুবিন]] এবং নিক সিয়ার্সকে সাধারণত অ্যান্ড্রয়েডের উদ্ভাবক হিসেবে কৃতিত্ব দেওয়া হয়। <ref>http://uk.businessinsider.com/how-android-was-created-2015-3?r=US&IR=T</ref> ২০০৫ সালে গুগল কর্তৃক কেনার আগে তারা একসাথে একটি ছোট কোম্পানি, Android.inc, হিসেবে অ্যান্ড্রয়েডে কাজ করেছিল। তাদের অধিগ্রহণের পর উপলব্ধ তহবিল বৃদ্ধি এবং প্রচুর নতুন সম্পদের আধিক্য উন্নয়ন প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে। দুই বছর পর প্রথম সর্বজনীনভাবে উপলব্ধ অ্যান্ড্রয়েড সফটওয়্যার তৈরি করা হয়। গুগল মূলত অ্যাপলের আইওএস-এর উন্নয়নের বিরোধিতা করে অপারেটিং সিস্টেমটি তৈরি করেছিল। ২০১০ সালে গুগলের আই/ও সম্মেলনের মূল বক্তৃতায়, গুগলের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট সোশ্যাল ভিক গুন্ডোত্রা দাবি করেছিলেন, "আমরা যদি পদক্ষেপ না নিই, তাহলে আমরা এক ভয়াবহ ভবিষ্যতের মুখোমুখি হব যেখানে একজন মানুষ, একজন ফোন, একজন ক্যারিয়ারই হবে ভবিষ্যৎ। এমন একটি ভবিষ্যৎ আমরা চাই না।" <ref>http://www.theatlantic.com/technology/archive/2013/12/the-day-google-had-to-start-over-on-android/282479/</ref>
অ্যান্ড্রয়েড প্রকাশের প্রায় এক বছর আগে, [[স্টিভ জবস]] ৯ জানুয়ারি, ২০০৭ তারিখে অ্যাপল আইফোন চালু করেছিলেন। গুগলের ভেতরে এই ঘোষণার প্রতিক্রিয়া ছিল অবাক করার মতো। গুগলের একজন কর্মচারী, ক্রিস ডিসালভো মন্তব্য করেছেন;<div align="center">
'''"একজন ভোক্তা হিসেবে আমি অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। আমি তাৎক্ষণিকভাবে একটি চাইছিলাম। কিন্তু একজন গুগল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে, আমি ভেবেছিলাম 'আমাদের নতুন করে শুরু করতে হবে। নব্বইয়ের দশকে আমরা যা হঠাৎ করে দেখেছিলাম তা এমন একটি জিনিস যা দেখলেই স্পষ্ট হয়ে ওঠে।"'''
</div>এই ঘোষণা অনুসারে অ্যান্ড্রয়েড ইঞ্জিনিয়ারদের দ্বারা তাড়াতাড়ি কিছু পরিবর্তন করা হয়। বিশেষ করে তাদের পণ্যে 'টাচস্ক্রিন' যুক্ত করা হয়। যদিও অ্যাপলের ঘোষণা অ্যান্ড্রয়ের আগে এসেছিল। এটি তাদের বাজারে সাময়িকভাবে লাভবান করতে সুবিধা দিয়েছিল। বিষয়টি অ্যান্ড্রয়েরডের একটি সুবিধাজনক অবস্থান হিসেবে দেখা হয়। কারণ এর ফলেঅ্যাপল কী মিস করেছে তা অ্যান্ড্রয়েরডের ইঞ্জিনিয়ারদেরকে দেখার সুযোগকরে দেয়।
অ্যান্ড্রয়েড ওপেন সোর্স সফটওয়্যার লিনাক্সের উপর ভিত্তি করে তৈরি। ফলে এর সোর্স কোড সকলের জন্য প্রাপ্যতাযোগ্য করে তোলে, অ্যান্ড্রয়েডের লিনাক্স পিসিতে আমরা যে লিনাক্স ব্যবহার করি তার থেকে ভিন্নভাবে কাজ করে। পিসির মতো অ্যান্ড্রয়েড লিনাক্স কার্নেল সংস্করণের একটি পরিবর্তিত সংস্করণ ব্যবহার করে।তবে একই সংস্করণ নয়। অ্যান্ড্রয়েডের জন্য লিনাক্স স্মার্টফোনের কথা মাথায় রেখে ডিজাইন করা হয়েছে ।তাই মূল কার্নেলে অন্যান্য সমন্বয়ের সাথে টাচ-স্ক্রিন প্রোগ্রামিং যোগ করা হয়েছে। নিচে কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপাদানের তালিকা দেওয়া হলো।
* অ্যালার্ম ড্রাইভার: ডিভাইসগুলোকে ঘুম থেকে জাগানোর জন্য টাইমার সরবরাহ করে
* Ashmem: অ্যাপ্লিকেশনগুলোকে মেমরি ভাগ করে নেওয়ার সুযোগ দেয় এবং কার্নেল স্তরে ভাগ করে নেওয়ার ব্যবস্থা করে।
* বাইন্ডার ড্রাইভার: আন্তঃ-প্রক্রিয়া যোগাযোগ সহজতর করে কারণ শেয়ার্ড মেমোরি ব্যবহারের মাধ্যমে একাধিক অ্যাপ্লিকেশন দ্বারা ডেটা ভাগ করা যায়। IPC হিসেবে নিবন্ধিত একটি পরিষেবা
পরিষেবা প্রদানকারীদের বিভিন্ন থ্রেড নিয়ে চিন্তা করতে হবে না কারণ বাইন্ডার সেগুলো পরিচালনা, পর্যবেক্ষণ এবং পরিচালনা করবে। বাইন্ডার প্রক্রিয়াগুলোর মধ্যে সিঙ্ক্রোনাইজেশনেরও যত্ন নেয়।
* পাওয়ার ম্যানেজমেন্ট: স্ট্যান্ডার্ড লিনাক্স পাওয়ার ম্যানেজমেন্ট (PM) এর উপরে তৈরি এবং
বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনা এবং সাশ্রয়ের জন্য আরও আক্রমণাত্মক নীতি গ্রহণ করুন। <ref>http://www.handycodeworks.com/wp-content/uploads/2011/02/linux_versus_android.pdf</ref>
গুগল কেন অ্যান্ড্রয়েডকে একটি ওপেন সোর্স অপারেটিং সিস্টেম বানিয়েছে তা বিতর্কের বিষয়। বিরোধীরা যুক্তি দেন যে সিদ্ধান্তটি মূলত আর্থিক ভিত্তিক ছিল। ওপেন সোর্স প্রযুক্তির লাভ-ভিত্তিক একাধিক সুবিধা রয়েছে। এটি মূলত সিস্টেমের ব্যাপক জনপ্রিয়তার কারণে। এটি গুগলের নাগাল আরও বাড়িয়ে তোলে এবং তাদের ভোক্তা জনসংখ্যার পরিধি প্রসারিত করে। তবে তাদের ওয়েবসাইটে, অ্যান্ড্রয়েড ব্যাখ্যা করেছে কেন তারা একটি ওপেন সোর্স সিস্টেম ব্যবহার করে;
'''"অ্যান্ড্রয়েডের প্রাথমিক উদ্দেশ্য হলো ক্যারিয়ার, OEM এবং ডেভেলপারদের জন্য একটি উন্মুক্ত সফটওয়্যার প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা যাতে তারা তাদের উদ্ভাবনী ধারণাগুলোকে বাস্তবে রূপ দিতে পারে এবং একটি সফল, বাস্তব-বিশ্বের পণ্য প্রবর্তন করতে পারে যা ব্যবহারকারীদের জন্য মোবাইল অভিজ্ঞতা উন্নত করে। আমরা আরও নিশ্চিত করতে চেয়েছিলাম যে ব্যর্থতার কোনও কেন্দ্রীয় বিন্দু নেই, যেখানে একজন শিল্প খেলোয়াড় অন্য কারও উদ্ভাবনকে সীমাবদ্ধ বা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।"''' <ref>https://source.android.com/source/</ref>
==== আইওএসের উন্নয়ন ====
[[চিত্র:Steve_Jobs_presents_iPhone.jpg|থাম্ব| স্টিভ জবস আইফোন উপস্থাপন করছেন]]
অ্যাপলের মোবাইল ফোন অপারেটিং সিস্টেম, [[আইওএস]]<nowiki>। এটি পূর্বে ওএস নামে পরিচিত ছিল, ৯ জানুয়ারি, ২০০৭ সালে আইফোন প্রবর্তনের মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ করে। প্রথম আইফোনগুলো সেই গ্রীষ্মের পরে বিক্রি শুরু হবে। আইওএসের নকশা অ্যাপল ম্যাকিনটোশের অপারেটিং সিস্টেম ওএস এক্স-এর উপর ভিত্তি করে তৈরি। স্টিভ জবস কর্তৃক আইপড প্রোগ্রামিং এবং ম্যাকিনটোশ প্রোগ্রামিংয়ের মধ্যে একটি প্রতিযোগিতার পর এই সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে ম্যাকিনটোশ ভিত্তিক একটি সিস্টেমই সবচেয়ে উপযুক্ত। ম্যাকিনটোশ দলের নেতৃত্বে ছিলেন [[w:Scott Forstall|Scott Forstall}}, যাকে অ্যাপ স্টোর তৈরি এবং বিকাশের জন্য কৃতিত্ব দেওয়া হয়। </nowiki><ref>http://www.bloomberg.com/news/articles/2011-10-12/scott-forstall-the-sorcerers-apprentice-at-apple</ref>
আইওএস একটি মালিকানাধীন অপারেটিং সিস্টেম এবং তাই এর সোর্স কোড প্রাপ্যতাযোগ্য বা পরিবর্তনযোগ্য নয়। অ্যাপলই একমাত্র কোম্পানি যার পণ্যে আইওএস ব্যবহারের সুযোগ এবং বৈধতা রয়েছে। অপারেটিং সিস্টেম পরিবর্তনের ক্ষেত্রে ব্যবহারকারীদের সীমিত প্রাপ্যতাের কারণে, জেলব্রেকিংয়ের প্রক্রিয়াটি জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে অ্যান্ড্রয়েডের মতো অপারেটিং সিস্টেমে বিরোধী সফটওয়্যারের উপাদান রয়েছে, এই ক্ষেত্রে ওপেন সোর্স। এমন দাবি করা হয়েছে যে স্টিভ জবস আসলে ওপেন সোর্সের একজন পথিকৃৎ ছিলেন। আইওএস-ভিত্তিক ম্যাক অপারেটিং সিস্টেমটি নিজেই ডারউইনের ওপেন সোর্স সফটওয়্যারের উপর ভিত্তি করে তৈরি। ডারউইন ২০০৩ সালে অ্যাপল দ্বারা একটি বিনামূল্যের এবং ওপেন সোর্স সফটওয়্যার লাইসেন্সের অধীনে প্রকাশিত হয়েছিল। অধিকন্তু, স্টিভ জবস দাবি করেছেন যে অ্যান্ড্রয়েড "আসলে তেমন খোলা নয়" তিনি উল্লেখ করেছেন যে কিছু মোবাইল ডিভাইস কোম্পানি যেমন HTC তাদের ইন্টারফেসে মালিকানাধীন সফটওয়্যার ব্যবহার করেছে। তিনি এতে অসন্তোষ প্রকাশ করেন কারণ এর ফলে ব্যবহারকারীদের নিজেরাই এটি সমাধান করতে হয়। এটিকে অ্যাপল মালিকানাধীন সফটওয়্যার বাস্তবায়নের অন্যতম কারণ হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে; ডিভাইসের ব্যবহারকারী-বান্ধবতা উন্নত করার জন্য।
অ্যান্ড্রয়েডের মতোই, যুক্তি দেওয়া হয় যে এই সিদ্ধান্তটি মূলত আর্থিক ভিত্তিক ছিল। সফটওয়্যারটির কপিরাইট করার মাধ্যমে তারা অন্যান্য কোম্পানিগুলোকে এটি ব্যবহার থেকে বিরত রাখে, তাই যারা ইন্টারফেসটি উপভোগ করেছেন তাদের অ্যাপল পণ্য কিনতে হবে। অ্যাপল স্বীকার করেছে যে অনলাইন সম্প্রদায়ের মধ্যে, বিশেষ করে হ্যাকার সম্প্রদায়ের মধ্যে, প্রোপ্রাইটারিকে অবজ্ঞা করা হয়, তাই তারা টাচস্ক্রিন এবং হোম বোতামের মতো নির্দিষ্ট উদ্ভাবনী বৈশিষ্ট্যগুলোর উপর IOS প্রকাশের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করেছে। মালিকানাধীন সমালোচকরা যুক্তি দেন যে ওপেন সোর্স সফটওয়্যার অ্যাপলের জন্য অনিবার্য। <ref>http://www.wired.com/2015/06/open-sourcing-no-longer-optional-not-even-apple/</ref> তাদের যুক্তি হলো, অ্যাপল যদি প্রতিটি নতুন সংস্করণের সাথে মালিকানার মাত্রা বৃদ্ধি করতে থাকে, তাহলে তারা তাদের জনপ্রিয় অ্যাপ্লিকেশনগুলোর বেশিরভাগের জন্য নির্ভরশীল ডেভেলপারদের বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার ঝুঁকিতে পড়বে। মাইক্রোসফটের লিনাক্সের সাম্প্রতিক গ্রহণযোগ্যতা অ্যাপলের উপর আরও চাপ সৃষ্টি করেছে কারণ মাইক্রোসফটের মালিকানাধীন সফটওয়্যারের সাথে দীর্ঘদিনের মৌলিক সম্পর্ক রয়েছে।
==== বিতর্কের ভূমিকা ====
বিপরীত অপারেটিং সিস্টেমগুলোকে ঘিরে বিতর্কের ব্যবহারিক এবং আদর্শিক উভয় দিক থেকেই গুরুত্ব রয়েছে। ব্যবহারিকতার বিষয়গুলো অনলাইন ফোরামগুলোতে প্রাধান্য পায় এবং প্রায়ই উভয়ের মধ্যে তুলনা করা হয়। ব্যবহারকারী-বান্ধবতা, গোপনীয়তা, নিরাপত্তা, কাস্টমাইজেবিলিটি এবং অ্যাপ্লিকেশনগুলো সরাসরি অপারেটিং সিস্টেমের প্রকৃতি দ্বারা প্রভাবিত হয়, তা মালিকানাধীন হোক বা ওপেন সোর্স। সাধারণ জনগণের কাছে এগুলো বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে হয়। কিন্তু কিছু মানুষের কাছে, বিশেষ করে হ্যাকার সম্প্রদায় এবং ইন্টারনেট কর্মীদের মধ্যে যারা আছেন তাদের কাছে, বিপরীত অপারেটিং সিস্টেমগুলো বিপরীত মতাদর্শের প্রতিনিধিত্ব করে। অ্যান্ড্রয়েডকে 'জনস্বার্থ' হিসেবে দেখা হয়, যেখানে আইওএস 'মানুষের স্বার্থের' প্রতিনিধিত্ব করে। মাইক্রোসফটের গবেষণা সমাজবিজ্ঞানী মার্ক এ. স্মিথ ব্যাখ্যা করেছেন কিভাবে এই দুটির মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখার প্রয়োজন। তিনি "মুক্ত রাইডার" ধারণাটি বর্ণনা করেছেন যারা জনসাধারণের কল্যাণে অবদান না রেখেই তা ব্যবহার করে। এই ধারণাটি বেশিরভাগ অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীদের জন্য প্রযোজ্য হবে যারা সোর্স কোড প্রাপ্যতা বা পরিবর্তন করেন না।
বিরোধী মতাদর্শের পাশাপাশি এটি বিরোধী [[বিবর্তন|বিবর্তনীয় ব্যাখ্যার]] প্রতিনিধিত্ব করে। এমন ধারণা রয়েছে যে প্রতিযোগিতাই ছিল বিবর্তনের একমাত্র চালিকা শক্তি। এটি আইওএস এবং মালিকানাধীন সফটওয়্যারকে সমাজের জন্য সাধারণত উপকারী হিসাবে ব্যাখ্যা করবে। এর বিরোধিতা করা হয় এই দাবির মাধ্যমে যে সহযোগিতা বিবর্তনের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক এবং বর্ধিত প্রাণীজগতেও এটি প্রতিনিধিত্ব করে। <ref>Rheingold, H. (2003). Smart mobs. Cambridge, MA: Perseus Pub. pg39</ref> লিনাক্সকে বর্ণনা করা হয়েছে, "ডেভেলপারদের দ্বারা প্রবর্তিত মিউটেশনের উপর এক ধরণের দ্রুত ডারউইনীয় নির্বাচন তৈরি করা।" "
অনেক দিক থেকেই অপারেটিং সিস্টেমের স্পষ্ট উল্লেখ ছাড়াই জনপ্রিয় বিতর্কটি ঘটেছে। দুটি সর্বাধিক জনপ্রিয় অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে তারা তাদের নিজস্ব ফ্যান ওয়েবসাইট এবং মিটআপের মাধ্যমে উৎসাহী ভক্তদের আকর্ষণ করেছে। সিস্টেমগুলো গুগল এবং অ্যাপলের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্বদের, যেমন স্টিভ জবসের সাথে সেলিব্রিটির লড়াইয়ে প্রবেশ করেছে, অপারেটিং সিস্টেমের চেয়ে বেশি বিখ্যাত হয়ে উঠেছে। নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক এরিক রোবেলস-অ্যান্ডারসন এবং অন্যান্যরা অ্যাপলকে একটি ' ধর্ম-সংস্কৃতি ' হিসেবে বর্ণনা করেছেন। <ref>http://www.techinsider.io/nyu-professor-says-apple-is-a-cult-2015-9</ref> এটিই ছিল 'ম্যাকহেডস' তথ্যচিত্রের ভিত্তি। অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস-এর এখন বিশাল সংখ্যক প্রতিষ্ঠিত ভক্ত রয়েছে যারা তাদের নিজ নিজ অপারেটিং সিস্টেমের প্রতি অনুগত এবং একে অপরের পণ্য কিনবে না <ref>http://www.telegraph.co.uk/technology/apple/10632787/iPhone-owners-admit-having-blind-loyalty-to-Apple.html</ref>
==== অ্যান্ড্রয়েডের সুবিধা এবং সমালোচনা ====
'''প্রাপ্যতা এবং সামঞ্জস্য'''
ব্যবহারকারীদের কাছে এর বিশাল প্রাপ্যতার জন্য অ্যান্ড্রয়েড ধারাবাহিকভাবে প্রশংসিত হয়। এটি এর ওপেন সোর্স বৈশিষ্ট্যের প্রত্যক্ষ ফলাফল। অনেক কোম্পানি তাদের পণ্যে অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহার করে। এর ফলে গ্রাহকরা আইওএস পরিচালিত পণ্যের তুলনায় ফোন এবং ট্যাবলেটের একটি উল্লেখযোগ্য বিস্তৃত নির্বাচন থেকে পছন্দ করতে পারেন। বিপুল সংখ্যক অ্যান্ড্রয়েড প্রস্তুত ডিভাইসের কারণে পরবর্তীতে অ্যান্ড্রয়েড ৮০% এরও বেশি শেয়ার নিয়ে বাজারে আধিপত্য বিস্তার করতে সক্ষম হয়েছে। <ref>http://www.idc.com/prodserv/smartphone-os-market-share.jsp</ref> এটি সাধারণত (Apache Software License ২.০ (APL২.০), একটি বিনামূল্যের সফটওয়্যার লাইসেন্সের অধীনে পরিচালিত লাইসেন্সের কারণে, নির্মাতারা তাদের নিজস্ব স্পেসিফিকেশন অনুসারে সোর্স কোড পরিবর্তন করতে পারে। <ref>http://www.idc.com/prodserv/smartphone-os-market-share.jsp</ref> এইভাবে অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীরা নির্মাতার উপর নির্ভর করে ভিন্ন অভিজ্ঞতা পেতে পারেন। এটি বৈচিত্র্য এবং পছন্দ বৃদ্ধির কারণে উপকারী বলে মনে করা হয়, তবে বিভিন্ন অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং ডিভাইসের মধ্যে মানের বৈষম্যের জন্য এটি সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছে।
'''কাস্টমাইজেবিলিটি'''
অ্যান্ড্রয়েডে, কাস্টমাইজেশনকে প্রকাশ্যে উৎসাহিত করা হয় এবং তাই এটি অনেক হ্যাকারের কার্যত পছন্দ। কাস্টমাইজেশনের এই সুযোগটি ব্যাপক, যেখানে ব্যবহারকারীরা আরও জটিল কাজ করতে পারবেন, যেমন সোর্স কোডে অবদান রাখা এবং প্রচলিত কাস্টমাইজেশনের ত্রুটিগুলো সনাক্ত করা, যেমন টোয়াইলাইট এবং এয়ারড্রয়েডের মতো অ্যাপ ইনস্টল করা এবং অ্যাপ আইকন পরিবর্তন করা। সোর্স কোডটি উপলব্ধ এবং ব্যবহারকারীদের ইচ্ছানুযায়ী ব্যবহার করার জন্য প্রস্তুত। কাস্টমাইজেশনের সাথে এর ইতিবাচক প্রভাবের দুটি ধারণা রয়েছে; অভ্যন্তরীণ এবং বাহ্যিক। অভ্যন্তরীণ বলতে ব্যবহারকারীর নিজস্ব কাস্টমাইজেশন সম্পাদনের মাধ্যমে অর্জিত সন্তুষ্টি বোঝায়, অন্যদিকে বহির্মুখী বলতে কাস্টমাইজেশনের ফলে হওয়া উন্নতির মাধ্যমে ব্যবহারকারীর সন্তুষ্টি বোঝায় ঠিক যেমন আপনি অ্যাপ ডিজাইন করতে এবং [[গুগল প্লে|গুগল প্লে স্টোরে]] অফার করতে সক্ষম হন, আপনি স্টোরের সোর্স কোডও পরিবর্তন করতে পারেন। এই উন্মুক্ততার ফলে অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ ডাউনলোডের সংখ্যা আইওএস-এর চেয়ে বেশি হয়ে গেছে, যদিও এটি অ্যান্ড্রয়েড এবং অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ ডেভেলপারদের উপর একটি বড় নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে: রাজস্ব হ্রাস। গুগল প্লে অ্যাপলের [[App store (IOS)|অ্যাপ স্টোরের তুলনায় ৭০% কম আয় করে।]]
'''ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা'''
অ্যান্ড্রয়েডের সাথে সঠিক ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা নির্মাতাদের মূল সোর্স কোডের পরিবর্তনের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হয়, যদিও প্রযুক্তি সম্প্রদায়ে সাধারণীকরণ করা যেতে পারে এবং করা হয়েছে। অ্যান্ড্রয়েডের খ্যাতি আইওএসের মতো 'পরিষ্কার' না হওয়া এবং 'খাটো' হওয়ার জন্য ওপেন সোর্স উৎসের কারণে, এর নকশাটি তার প্রতিযোগীর মতো পরিশীলিত বলে বিবেচিত হয় না এবং 'কার্টুনিশ' হওয়ার জন্য আরও সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছে। অন্যান্য অপারেটিং সিস্টেমের সাথে অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতার তুলনা করে করা একটি জরিপে দেখা গেছে যে এটি IOS এর তুলনায় কম স্কোর করেছে (৫৭.২৫ থেকে ৭৩.২৫) ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো প্রাথমিকভাবে ব্যবহারের সহজতা, বিশেষ করে একজন অ-প্রযুক্তিগত ব্যবহারকারীর জন্য। আরেকটি জরিপে দেখা গেছে যে অ্যান্ড্রয়েডের জ্ঞানীয় লোড সবচেয়ে বেশি, সংশ্লিষ্ট IOS এর তুলনায় চার গুণ বেশি। ধারণা করা হচ্ছে,অ্যান্ড্রয়েড স্বাভাবিকভাবে ব্যবহার করতে আইওএসের তুলনায় বেশি সময় নেয়।
'''গোপনীয়তা'''
অ্যান্ড্রয়েড বিজ্ঞাপন লাইব্রেরিগুলোর উপর গবেষণায় দেখা গেছে যে বিজ্ঞাপনগুলো ব্যবহারকারীর অবস্থান, পরিচিতি, ফোন নম্বর সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহ করতে পারে এবং এমনকি ক্যামেরা এবং মাইক্রোফোনেও প্রাপ্যতা পেতে পারে এটি বিজ্ঞাপনগুলোকে সংগৃহীত তথ্যের উপর ভিত্তি করে তাদের ব্যবহারকারীকে আরও ভালভাবে লক্ষ্য করতে দেয়। যখন কোনও বিজ্ঞাপন আপনার নাম, ঠিকানা এবং সহযোগীদেরও শনাক্ত করতে সক্ষম হয়, তখন এটি আরও গুরুতর গোপনীয়তার সমস্যা হয়ে উঠতে পারে। এটি অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস প্ল্যাটফর্মের জন্য একটি সমস্যা। দেখা গেছে যে গ্রাহকরা প্রায়ই ডিফল্ট গোপনীয়তা বিকল্পগুলোতে সম্মতি জানান। এর ফলে গোপনীয়তা কর্মীরা 'অপ্ট ইন' বৈশিষ্ট্যের জন্য প্রচারণা চালাচ্ছেন, যেমনটি ইইউতে দেখা যায়। এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা একটি বিজ্ঞাপনের প্রাপ্যতা সম্পর্কে আরও স্বচ্ছ ধারণা দিচ্ছেন। যদিও অ্যাপের গোপনীয়তার স্পেসিফিকেশনের জন্য অ্যান্ড্রয়েড সমালোচিত হয়েছে, তবুও অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস উভয়কেই এই আইনগুলো মেনে চলতে হবে। এটি ব্যবহারকারীকে অ্যাপের গোপনীয়তা চুক্তি গ্রহণ বা প্রত্যাখ্যান করার সুযোগ দেয় কিন্তু পরবর্তী সময়ে এতে কোনও পরিবর্তন আনে না। বিপরীতে, IOS ব্যবহারকারীকে গোপনীয়তা চুক্তি গ্রহণের পরে একটি অ্যাপের নির্দিষ্ট প্রাপ্যতা নিষ্ক্রিয় করার সুযোগ দেয়, যেমন ক্যামেরা প্রাপ্যতা নিষ্ক্রিয় করা।
'''ওয়েব ব্রাউজার'''
অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীকে তাদের পছন্দের ডিফল্ট ওয়েব ব্রাউজার নির্ধারণ করতে দেয়। এটি গুগল প্লে স্টোর থেকে একটি তৃতীয় পক্ষের অ্যাপ অধিগ্রহণের মাধ্যমে করা হয় তবে অ্যান্ড্রয়েডের অ্যাপল-বিকশিত ব্রাউজার [[সাফারি (ওয়েব ব্রাউজার)|সাফারিতে]] প্রাপ্যতা নেই; আইওএসের তুলনায় ব্যবহারকারীদের তাদের পছন্দের ব্রাউজারটি সম্পূর্ণরূপে পরিবর্তন করার সুযোগ দেওয়ার জন্য অ্যান্ড্রয়েড প্রশংসিত হয়েছে, যেখানে সাফারি অন্তর্নির্মিত এবং আনইনস্টল করা যায় না।
'''প্রাপ্যতা এবং সামঞ্জস্য'''
IOS উপলব্ধ এবং শুধুমাত্র Apple পণ্যের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এই বৈশিষ্ট্যটি সমালোচিত হয়েছে কারণ এর অর্থ হলো অ্যাপ স্টোর এবং গুগল প্লে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়, তাই ব্যবহারকারীরা অ্যাপগুলোতে একই স্তরের প্রাপ্যতা পান না। যদিও অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম ওপেন সোর্স, গুগল প্লে নয়। শুধুমাত্র অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীরা এটি ব্যবহার করতে পারবেন। আইওএসের বাজার শেয়ার ১৩.৯। % <ref>http://www.idc.com/prodserv/smartphone-os-market-share.jsp</ref> মানে IOS ব্যবহারকারীরা সংখ্যালঘু।
'''কাস্টমাইজেবিলিটি'''
IOS সোর্স কোড কোনওভাবেই ব্যবহারকারীর জন্য কাস্টমাইজযোগ্য নয়। এটি অনেককে ক্ষুব্ধ করেছে এবং জেলব্রেকিংয়ের এখন সাধারণ এবং আইনত অস্পষ্ট প্রথার দিকে পরিচালিত করেছে। এই অনুশীলনের মধ্যে রয়েছে [[ডিজিটাল অধিকার ব্যবস্থাপনা|ডিজিটাল রাইটস ম্যানেজমেন্ট (DRM)]] বিধিনিষেধ উপেক্ষা করা এবং সফটওয়্যার পরিবর্তন করা। এটি মূলত "একটি পরিবর্তিত কার্নেল প্যাচ সেট (কার্নেল অপারেটিং সিস্টেমের তত্ত্বাবধায়ক) ইনস্টল করার প্রক্রিয়া যা আপনাকে স্বাক্ষরবিহীন কোড চালানোর সুযোগ দেয়" হিসাবে ভাবা যেতে পারে। অ্যাপল উন্নত আপডেটের মাধ্যমে জেলব্রেকিং সীমিত করার চেষ্টা করেছে। অ্যাপলের সাপোর্ট পেজে জেলব্রেকিংয়ের অসুবিধাগুলো ব্যাখ্যা করা হয়েছে;
* নিরাপত্তা দুর্বলতা: আপনার ডিভাইস জেলব্রেক করলে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য এবং আপনার iOS ডিভাইস সুরক্ষিত রাখার জন্য তৈরি নিরাপত্তা স্তরগুলো দূর হয়ে যায়। আপনার iOS ডিভাইস থেকে এই নিরাপত্তা ব্যবস্থা সরিয়ে ফেলা হলে, হ্যাকাররা আপনার ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করতে পারে, আপনার ডিভাইসের ক্ষতি করতে পারে, আপনার নেটওয়ার্ক আক্রমণ করতে পারে, অথবা ম্যালওয়্যার, স্পাইওয়্যার বা ভাইরাস প্রবেশ করাতে পারে।
* অস্থিরতা: ডিভাইসের ঘন ঘন এবং অপ্রত্যাশিত ক্র্যাশ, বিল্ট-ইন অ্যাপ এবং থার্ড-পার্টি অ্যাপের ক্র্যাশ এবং ফ্রিজ, এবং ডেটা হারানো।
* ব্যাটারির আয়ু কমে গেছে: হ্যাক করা সফটওয়্যারটির কারণে ব্যাটারি দ্রুত শেষ হয়ে গেছে। এটি একবার ব্যাটারি চার্জ করলেই আইফোন, আইপ্যাড বা আইপড টাচের কাজকর্ম কমিয়ে দেয়।
* অবিশ্বস্ত ভয়েস এবং ডেটা: কল বন্ধ, ধীর বা অবিশ্বস্ত ডেটা সংযোগ, এবং বিলম্বিত বা ভুল অবস্থান ডেটা।
* পরিষেবার ব্যাঘাত: ভিজ্যুয়াল ভয়েসমেইল, আবহাওয়া এবং স্টকের মতো পরিষেবাগুলো ডিভাইসে ব্যাহত হয়েছে অথবা আর কাজ করছে না। এছাড়াও, অ্যাপল পুশ নোটিফিকেশন সার্ভিস ব্যবহারকারী তৃতীয় পক্ষের অ্যাপগুলোর বিজ্ঞপ্তি পেতে অসুবিধা হয়েছে অথবা এমন বিজ্ঞপ্তি পেয়েছে যা অন্য কোনও হ্যাক করা ডিভাইসের জন্য তৈরি। [[আইক্লাউড|iCloud]] এবং Exchange-এর মতো অন্যান্য পুশ-ভিত্তিক পরিষেবাগুলো তাদের নিজ নিজ সার্ভারের সাথে ডেটা সিঙ্ক্রোনাইজ করতে সমস্যায় পড়েছে।
* ভবিষ্যতে সফটওয়্যার আপডেট প্রয়োগ করতে অক্ষমতা: কিছু অননুমোদিত পরিবর্তন iOS-এর এমন ক্ষতি করেছে যা মেরামতযোগ্য নয়। এর ফলে ভবিষ্যতে অ্যাপল-সরবরাহকৃত iOS আপডেট ইনস্টল করার সময় হ্যাক হওয়া আইফোন, আইপ্যাড, বা আইপড টাচ স্থায়ীভাবে অকার্যকর হয়ে যেতে পারে।
'''ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা'''
আইওএস-এর ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতার জন্য অ্যাপল মূলত প্রশংসিত হয়েছে। এটি 'নান্দনিক অখণ্ডতা' এবং 'ধারাবাহিকতা' নীতির উপর নির্ভর করে অ্যাপল উল্লেখ করেছে যে নান্দনিকতার সাথে এটি সৌন্দর্য সম্পর্কে খুব বেশি কিছু নয় বরং, "একটি অ্যাপের চেহারা এবং আচরণ কতটা ভালোভাবে তার কার্যকারিতার সাথে একটি সুসংগত বার্তা পাঠায় তা বোঝায়।" "আইওএস-এর অ্যাপ স্টোরে অ্যান্ড্রয়েডের গুগল প্লে-এর তুলনায় কঠোর নির্দেশিকা রয়েছে।" এটি ইতিবাচক নাকি নেতিবাচক বৈশিষ্ট্য তা নিয়ে মতবিরোধ রয়েছে। IOS-এর 'ধারাবাহিকতা' নীতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ, সমস্ত অ্যাপই মানুষের দ্বারা পর্যালোচনা করা হয়, সম্প্রতি অ্যান্ড্রয়েডও এই বৈশিষ্ট্যটি গ্রহণ করেছে। এটিকে আইওএসের কঠোর নির্দেশিকাগুলো ইতিবাচক বলে গ্রহণযোগ্যতা হিসেবে দেখা হচ্ছে।
'''ওয়েব ব্রাউজার'''
গুগল ক্রোম এবং ফায়ারফক্সের মতো একাধিক ওপেন সোর্স ওয়েব ব্রাউজার আইওএস সহ অ্যাপ স্টোর থেকে ডাউনলোডের জন্য উপলব্ধ। তবে Safari হলো বিল্ট-ইন ইন্টারনেট ব্রাউজার, এবং তাই, খোলা যেকোনো লিঙ্ক Safari তে পুনঃনির্দেশিত হবে ব্যবহারকারীদের দ্বারা Safari প্রশংসিত এবং সমালোচিত উভয়ই হয়েছে। অ্যাপল তার ব্রাউজারগুলো (সাফারি, ক্রোম, ফায়ারফক্স ইত্যাদি) ওয়েবকিট তে চালায় তাই গতি ধারাবাহিকভাবে বেশি থাকে। 'ট্র্যাক করবেন না' বৈশিষ্ট্যটি সমর্থন করার জন্য সাফারিও প্রশংসিত হয়েছে। স্মার্টফোনের গোপনীয়তা নিয়ে উদ্বিগ্ন ব্যক্তিদের জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি বিজ্ঞাপনদাতাদের অনলাইনে আপনার ট্র্যাক করা বন্ধ করে দেয়। তবে আইওএসের মালিকানাধীন প্রকৃতির কারণে, তারা অন্যান্য ওয়েব ব্রাউজারগুলোতে এই ফাংশনের প্রাপ্যতা সীমিত করেছে, তাদের সাফারি ব্যবহারে রাজি করার একটি ধারণাগত প্রচেষ্টা হিসেবে। তৃতীয় পক্ষের ব্রাউজারগুলোতে IOS-এর আরও অনেক বিধিনিষেধ রয়েছে। যেহেতু Safari iOS-এ অন্তর্নির্মিত, তাই সিস্টেম ক্র্যাশ বিশ্বব্যাপী একাধিক ডিভাইসের বেশিরভাগ IOS ব্যবহারকারীকে প্রভাবিত করবে। ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে এই ঘটনাটি ঘটেছিল যখন কোনও ব্যবহারকারী অ্যাড্রেস বারে কিছু অনুসন্ধান করলে একটি বাগ সাফারি ক্র্যাশ করে
==== অ্যান্ড্রয়েড প্ল্যাটফর্ম নিরাপত্তা ====
'''অ্যান্ড্রয়েড নিরাপত্তা প্রতিশ্রুতি'''
অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল প্ল্যাটফর্মের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ এবং ব্যবহারযোগ্য অপারেটিং সিস্টেম হতে চায়, ঐতিহ্যবাহী অপারেটিং সিস্টেমের নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রণগুলোকে পুনঃউদ্দেশ্য দিয়ে:
* ব্যবহারকারীর ডেটা সুরক্ষিত করুন
* সিস্টেম রিসোর্স (নেটওয়ার্ক সহ) সুরক্ষিত করুন
* অ্যাপ্লিকেশন আইসোলেশন প্রদান করুন
এই লক্ষ্যগুলো অর্জনের জন্য, অ্যান্ড্রয়েড এই গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্যগুলো প্রদান করে:
* লিনাক্স কার্নেলের মাধ্যমে অপারেটিং সিস্টেম স্তরে শক্তিশালী নিরাপত্তা
* সকল অ্যাপ্লিকেশনের জন্য বাধ্যতামূলক অ্যাপ্লিকেশন স্যান্ডবক্স
* নিরাপদ আন্তঃপ্রক্রিয়া যোগাযোগ
* আবেদনপত্র স্বাক্ষর
* অ্যাপ্লিকেশন-সংজ্ঞায়িত এবং ব্যবহারকারী-প্রদত্ত অনুমতি
'''অ্যান্ড্রয়েড নিরাপত্তা সমালোচনা'''
অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ্লিকেশনগুলো একটি স্যান্ডবক্সে চলে। এটি সিস্টেমের একটি বিচ্ছিন্ন এলাকা যেখানে সিস্টেমের বাকি সংস্থানগুলোতে প্রাপ্যতা থাকে না, যদি না অ্যাপ্লিকেশনটি ইনস্টল করার সময় ব্যবহারকারী দ্বারা স্পষ্টভাবে প্রাপ্যতাের অনুমতি দেওয়া হয়। যদিও, Felt & Chin (২০১২) এর পর্যবেক্ষণ অনুযাতী, "'স্যান্ডবক্সিং' এবং অনুমতি ব্যবস্থা অ্যাপ্লিকেশনগুলোতে দুর্বলতা এবং বাগের প্রভাব কমায়। কিন্তু ডেভেলপারদের বিভ্রান্তি এবং সীমিত ডকুমেন্টেশনের ফলে অ্যাপ্লিকেশনগুলো নিয়মিতভাবে অপ্রয়োজনীয় অনুমতির অনুরোধ করে। এর ফলে এর কার্যকারিতা হ্রাস পায়"। এর উপরে, এটিও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে যে অ্যান্ড্রয়েডের ফ্র্যাগমেন্টেশন নিরাপত্তার জন্যও একটি সমস্যা। কারণ মূল অপারেটিং সিস্টেমে পাওয়া বাগের প্যাচগুলো প্রায়ই পুরানো এবং কম দামের ডিভাইসের ব্যবহারকারীদের কাছে পৌঁছায় না (কিংসলে-হিউজেস, ২০১৫)। অধিকন্তু, কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় দুর্বলতার উপর গবেষণা চালিয়েছে, যেখানে তারা এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে যে "বিক্রেতাদের প্যাচ এবং আপডেট সহ পুরানো ডিভাইসগুলোকে সমর্থন করতে ব্যর্থতার ফলে সক্রিয় ডিভাইসগুলোর সাতাশি শতাংশেরও বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে" (থমাস, বেরেসফোর্ড এবং রাইস ২০১৪)।
'''নম্বর অনুসারে অ্যান্ড্রয়েড'''
২০১৩ সালের ৩ সেপ্টেম্বরের তথ্য অনুযায়ী গুগল প্লে অ্যাপ স্টোর এক বিলিয়নেরও বেশি অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস সক্রিয় করেছে। আনুমানিক হিসাব অনুসারে, ৪০০ টিরও বেশি অ্যাপ্লিকেশন কমপক্ষে এক কোটি বার এবং ৮০০ টিরও বেশি অ্যাপ্লিকেশন কমপক্ষে পাঁচ কোটি বার ইনস্টল করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এই অ্যাপগুলো হলো গুগল প্লে অ্যাপ যার ডাউনলোড সংখ্যা অনন্য ডিভাইসে এক বিলিয়নেরও বেশি। ২০১৫ সালের ২৫শে জুন তারিখের তথ্য অনুযায়ী এই শীর্ষ বিভাগে স্থান পাওয়ার জন্য ১২টি অ্যাপ্লিকেশন রয়েছে। এগুলোর প্রতিটিই গুগল অথবা ফেসবুকের মালিকানাধীন:
# জিমেইল
# গুগল ম্যাপস
# ইউটিউব
# ফেসবুক
# গুগল সার্চ
# গুগল+
# হোয়াটসঅ্যাপ
# গুগল টেক্সট-টু-স্পিচ
# গুগল বই
# বার্তাবহ
# গুগল হ্যাঙ্গআউট
# গুগল ক্রোম
'''আইওএস প্ল্যাটফর্ম নিরাপত্তা'''
প্রতিটি iOS ডিভাইস সর্বাধিক নিরাপত্তা এবং স্বচ্ছ ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতার জন্য একসাথে কাজ করার জন্য ডিজাইন করা সফটওয়্যার, হার্ডওয়্যার এবং পরিষেবাগুলোকে একত্রিত করে। iOS কেবল ডিভাইস এবং এর ডেটাই সুরক্ষিত রাখে না, বরং সমগ্র ইকোসিস্টেমকে সুরক্ষিত রাখে, যার মধ্যে রয়েছে স্থানীয়ভাবে, নেটওয়ার্কে এবং গুরুত্বপূর্ণ ইন্টারনেট পরিষেবাগুলোর মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা যা কিছু করেন তা। iOS-এর অনেক নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য ডিফল্টরূপে সক্রিয় থাকে, তাই আইটি বিভাগগুলোকে ব্যাপক কনফিগারেশন সম্পাদনের প্রয়োজন হয় না। এবং ডিভাইস এনক্রিপশনের মতো গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্যগুলো কনফিগারযোগ্য নয়, তাই ব্যবহারকারীরা ভুল করেও সেগুলো অক্ষম করতে পারবেন না। অন্যান্য বৈশিষ্ট্য, যেমন টাচ আইডি, ডিভাইসটিকে সুরক্ষিত করা সহজ এবং আরও স্বজ্ঞাত করে ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা উন্নত করে।
'''আইওএস নিরাপত্তা প্রতিশ্রুতি'''
অ্যাপল নিরাপত্তার বিষয়টিকে কেন্দ্র করে iOS প্ল্যাটফর্মটি ডিজাইন করেছে। যখন আমরা সর্বোত্তম সম্ভাব্য মোবাইল প্ল্যাটফর্ম তৈরির লক্ষ্যে যাত্রা শুরু করি, তখন আমরা কয়েক দশকের অভিজ্ঞতা থেকে সম্পূর্ণ নতুন একটি স্থাপত্য তৈরি করি। ফলস্বরূপ, মোবাইল ডিভাইসের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে iOS একটি বড় অগ্রগতি।
আইওএস সিকিউরিটি নিম্নলিখিত বৈশিষ্ট্যগুলো প্রদান করতে চায়:
* সিস্টেম নিরাপত্তা: সমন্বিত এবং সুরক্ষিত সফটওয়্যার এবং হার্ডওয়্যার যা প্ল্যাটফর্ম
আইফোন, আইপ্যাড এবং আইপড টাচের জন্য।
* এনক্রিপশন এবং ডেটা সুরক্ষা: স্থাপত্য এবং নকশা যা ব্যবহারকারীর ডেটা সুরক্ষিত রাখে যদি
ডিভাইসটি হারিয়ে গেলে বা চুরি হয়ে গেলে, অথবা যদি কোনও অননুমোদিত ব্যক্তি এটি ব্যবহার বা পরিবর্তন করার চেষ্টা করে।
* অ্যাপ নিরাপত্তা: এমন সিস্টেম যা অ্যাপগুলোকে নিরাপদে এবং আপস ছাড়াই চালাতে সক্ষম করে
* নেটওয়ার্ক নিরাপত্তা: ট্রান্সমিশনে ডেটার প্রমাণীকরণ এবং এনক্রিপশনের মাধ্যমে শিল্প-মানক নেটওয়ার্কিং প্রোটোকল যা নিরাপদ প্রদান করে ।
* অ্যাপল পে: অ্যাপলের নিরাপদ পেমেন্ট বাস্তবায়ন।
* ইন্টারনেট পরিষেবা: মেসেজিং, সিঙ্কিং এবং ব্যাকআপ।
* ডিভাইস কন্ট্রোল: এমন পদ্ধতি যা ডিভাইসের অননুমোদিত ব্যবহার প্রতিরোধ করে এবং সক্ষম করে। এর মাধ্যমে হারিয়ে গেলে বা চুরি হয়ে গেলে দূর থেকে মুছে ফেলা হবে।
* প্রাইভেসি কন্ট্রোল: iOS এর ক্ষমতা যা লোকেশন প্রাপ্যতা নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যবহার করা যেতে পারে
'''আইওএস নিরাপত্তা সমালোচনা'''
নিরাপত্তা হুমকি মোকাবেলায় অ্যাপলের উন্মুক্ততা নিয়ে বিশেষজ্ঞ এবং সাংবাদিক উভয়ই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। বিশেষ করে তারা আশঙ্কা করছে যে অ্যাপল তার নিরাপত্তা দুর্বলতা সম্পর্কে জনসাধারণকে অবহিত করার জন্য পদক্ষেপ না নিয়ে তার ক্লায়েন্টদের বিপদে ফেলবে। তবে অ্যাপল পণ্যের নিরাপত্তা দুর্বলতা সম্পর্কে জনগণের সচেতনতার অভাব জনসাধারণকে বিভ্রান্ত করার জন্য অ্যাপলের সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। এটি বছরের পর বছর ধরে বেড়েছে (ভিয়েগা, ২০০৯)। এই সমালোচনা অ্যাপলের সময়মতো নিরাপত্তা আপডেট সহ তার পণ্যগুলো আপডেট করতে ব্যর্থতার দিকেও দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। কিছু বিশেষজ্ঞের মতে, সামগ্রিকভাবে, অ্যাপল পণ্যগুলোতে হ্যাকারদের আক্রমণ বা ভাইরাস/ম্যালওয়্যার দ্বারা সংক্রামিত হওয়ার সম্ভাবনা কম, যদিও তারা জোর দিয়ে বলেন যে এটি মূলত অ্যাপল পণ্যগুলোতে আক্রমণে হ্যাকারদের আগ্রহের অভাবের কারণে, যদিও iCloud এবং অ্যাপল ডিভাইসগুলোকে ঘিরে সাম্প্রতিক নিরাপত্তা হুমকিগুলো অন্যথার ইঙ্গিত দেয়।
২০১৩ সালের জুন মাসে দ্য গার্ডিয়ান এবং দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট উভয়ের দ্বারা ফাঁস হওয়া জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার নথি উন্মোচিত হওয়ার পর অ্যাপলের উপর আরেকটি দ্বিধা তৈরি হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। নথিগুলোতে বলা হয়েছে যে অ্যাপল আমেরিকান কোম্পানিগুলোর তালিকায় রয়েছে যারা অভিযোগ করে যে PRISM-এর সাথে সহযোগিতা করে। এটি সরকারকে গোপনে আমেরিকান কোম্পানিগুলোর দ্বারা হোস্ট করা অ-আমেরিকান নাগরিকদের ডেটা প্রাপ্যতা করার সুযোগ দেয় কোনও ওয়ারেন্ট ছাড়াই। সরকারি কর্মকর্তারা এই প্রোগ্রামের অস্তিত্ব স্বীকার করেছেন। এটি থেকে বোঝা যায় যে "এনএসএ-র ওই কোম্পানিগুলোর সার্ভারগুলোতে সরাসরি প্রবেশাধিকার রয়েছে, এবং ফাঁসের আগের বছরগুলোতে প্রোগ্রামের মাধ্যমে সংগৃহীত তথ্যের পরিমাণ দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছিল" (স্যাভেজ, ২০১৩)। অ্যাপল এই প্রোগ্রাম সম্পর্কে কোনও জ্ঞান থাকার কথা অস্বীকার করেছে।
অ্যাপল এখনও iOS নিরাপদ বলে দাবি করে। তবে iOS নিরাপত্তা সংক্রান্ত সাম্প্রতিক কেলেঙ্কারির পর অনেক ব্যবহারকারী ভিন্ন মত পোষণ করবেন। ২০১৫ সালের ২০ সেপ্টেম্বরের দিকে চিহ্নিত সর্বশেষ নিরাপত্তা সংক্রান্ত দুর্নীতির ঘটনাগুলো হলো, চীনে অবস্থিত কিছু ডেভেলপার iOS অ্যাপ স্টোরের জন্য অ্যাপ তৈরি করতে ভুল প্রোগ্রাম ব্যবহার করেছেন।<ref>http://www.macworld.co.uk/feature/iosapps/is-ipad-iphone-ios-safe-xcodeghost-what-security-software-need-3453938/</ref> ধারণা করা হচ্ছে যে ডেভেলপাররা Xcode-এর একটি নকল সংস্করণ ডাউনলোড করেছেন। কারণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে হোস্ট করা অ্যাপলের নিজস্ব সার্ভার থেকে ডাউনলোড করতে অনেক সময় লাগছিল। Xcode-এর মোট আকার প্রায় ৩.৯ গিগাবাইট। চীনা ডেভেলপাররা অ্যাপলের নিজস্ব Xcode-এর পরিবর্তে XcodeGhost ব্যবহার করছিলেন। প্রভাবিত অ্যাপগুলো চীনা হলেও সেগুলোর মধ্যে অ্যাংরি বার্ডস ২-এর মতো কয়েকটি জনপ্রিয় অ্যাপ ছিল। যদিও রোভিও নিশ্চিত করেছে যে অ্যাংরি বার্ডস ২-এর শুধুমাত্র চীনা অ্যাপ স্টোর সংস্করণটি ঝুঁকিপূর্ণ।9to5Mac অনুসারে, শীঘ্রই এর সমাধান আসছে। কিন্তু সাম্প্রতিক নিরাপত্তার কৃতিত্বের পাশাপাশি, ২০১৪ সালটি এমন একটি বছর হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে যেখানে IOS-এর নিরাপত্তা দুর্বলতা সর্বকালের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে বেশ কয়েকটি নিরাপত্তা ত্রুটি চিহ্নিত করা হয়েছিল। এর ফলে যদি ব্যবহারকারী একটি অরক্ষিত হটস্পট ব্যবহার করেন, সম্ভবত একটি ইন্টারনেট ক্যাফেতে একজন আক্রমণকারীর পক্ষে ব্যবহারকারীর ডেটা আটকানো সম্ভব হয়েছিল ।
'''সংখ্যা অনুসারে আইওএস'''
অ্যান্ড্রয়েডের পরে iOS হলো বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বাধিক জনপ্রিয় মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আইপ্যাডের বিক্রি অ্যান্ড্রয়েডের চেয়েও পিছিয়ে। যদিও ওয়েব ব্যবহারের (সকল ব্যবহারের জন্য একটি প্রক্সি) দিক থেকে আইপ্যাড (আইওএস ব্যবহার করে) এখনও সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়। ২০১২ সালের মাঝামাঝি সময়ে ৪১ কোটি ডিভাইস সক্রিয় করা হয়েছিল। WWDC ২০১৪-তে, টিম কুক বলেছিলেন, ২০১৪ সালের জুন নাগাদ ৮০০ মিলিয়ন ডিভাইস বিক্রি হয়েছে। ২৭ জানুয়ারি, ২০১৫ তারিখে অ্যাপলের ত্রৈমাসিক আয়ের আহ্বানের সময়, অ্যাপল ঘোষণা করে যে ২০০৭ সাল থেকে তারা এখন এক বিলিয়ন iOS ডিভাইস বিক্রি করেছে (শুধুমাত্র ২০১৪ সালে বিক্রি হওয়া অ্যান্ড্রয়েডের তুলনায় একটু কম)। ১৬ জানুয়ারি, ২০০৯ তারিখে, অ্যাপল তার ওয়েবসাইটে ঘোষণা করে যে ৫০ কোটি অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড করা হয়েছে। বিলিয়নতম অ্যাপ্লিকেশনটি ২৩শে এপ্রিল, ২০০৯ তারিখে ডাউনলোড করা হয়েছিল। ৩ মার্চ, ২০১২ তারিখে, ডাউনলোড করা অ্যাপের সংখ্যা ২৫ বিলিয়নে পৌঁছেছে। ৮ জুন, ২০১৫ তারিখে, অ্যাপল ঘোষণা করে যে অ্যাপ স্টোর ১০০ বিলিয়ন ডাউনলোড অতিক্রম করেছে।
ডিসেম্বর ২০১৪-এর সবচেয়ে বেশি ডাউনলোড হওয়া আইফোন এবং আইপ্যাড অ্যাপগুলোর তালিকা এখানে দেওয়া হলো: (পেইড/ ফ্রি)
# ক্ল্যাশ অফ ক্ল্যানস / অ্যাংরি বার্ডস ২
# মাইনক্রাফট / স্ন্যাপচ্যাট
# আফটারলাইট / ইউটিউব
# প্লেগ ইনকর্পোরেটেড / ফেসবুক
# স্লিপ সাইকেল অ্যালার্ম ক্লক / ইনস্টাগ্রাম
# ফেসটিউন / প্যান্ডোরা রেডিও
# কাট দ্য রোপ ২ / গুগল ম্যাপস
# ব্লুনস টিডি ৫ / ফ্লিপগ্রাম
# একটি অন্ধকার ঘর / স্পটিফাই
# ৭ মিনিট ওয়ার্কআউট চ্যালেঞ্জ / ২০৪৮
=== ওয়েব ব্রাউজার ===
==== ভূমিকা ====
[[ওয়েব ব্রাউজার]] হলো এমন অ্যাপ্লিকেশন যা একসময় ব্যবহারকারীদের ইন্টারনেট প্রাপ্যতা এবং ব্যবহার করার সুযোগ দেওয়ার জন্য ব্যবহার করা হত। কিন্তু প্রযুক্তি যত উন্নত হচ্ছে, ততই আমরা ব্রাউজারটি খোলার জন্য আরও বেশি ব্যবহার খুঁজে পাচ্ছি। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, ব্যবহারকারী ইন্টারফেস এবং এক্সটেনশনের মতো সহজ বৈশিষ্ট্যগুলো গ্রাহকদের মধ্যে সিদ্ধান্ত প্রক্রিয়ার অংশ হয়ে উঠেছে যখন তারা কোন ওয়েব ব্রাউজার ব্যবহার করবেন তা সিদ্ধান্ত নেন।
প্রথম ওয়েব ব্রাউজারটি তৈরি করা হয়েছিল কেবল WorldWideWeb (পরবর্তীতে নামটি নেক্সাসে পরিবর্তিত হয়)। [[টিম বার্নার্স-লি|স্যার টিম বার্নার্স-লি]] ১৯৯০ সালে এটি তৈরি করেন। সময়ের সাথে সাথে এবং প্রযুক্তির উন্নতির সাথে সাথে, সহজেই প্রাপ্যতাযোগ্য ব্রাউজারের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়, যার কিছুক্ষণ পরেই ১৯৯২ সালে Erwise মুক্তি পায় এবং এটি গ্রাফিক্যাল ইউজার ইন্টারফেস সহ প্রথম সাধারণভাবে প্রাপ্যতাযোগ্য ব্রাউজার ছিল। তবে ১৯৯৩ সালে [[মোজাইক (ব্রাউজার)|মোজাইক]] মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই জনসাধারণের কাছে একটি সহজে অতিক্রমযোগ্য লেআউট উপস্থাপন করা হয়েছিল, যেখানে এটি ব্যবহারকারী সকলের জন্য আরও সুগম ব্যবহারকারী ইন্টারফেসের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করা হয়েছিল। মোজাইকে বাস্তবায়িত অনেক বৈশিষ্ট্য এখনও বর্তমান জনপ্রিয় ব্রাউজারগুলোতে বিদ্যমান, যেমন উপরে একটি URL বার এবং পিছনে/ফরোয়ার্ড বোতাম।
বর্তমানে, বাজারে পাঁচটি ব্রাউজার আধিপত্য বিস্তার করছে; [[ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার]], [[মোজিলা ফায়ারফক্স|ফায়ারফক্স]], [[গুগল ক্রোম|গুগল ক্রোম,]] [[সাফারি (ওয়েব ব্রাউজার)|সাফারি]] এবং [[অপেরা (ওয়েব ব্রাউজার)|অপেরা]] । এই পাঁচটি ব্রাউজারে বেশিরভাগই কিছুটা উন্মুক্ত উৎসের। সোর্স কোডের কিছু দিক সকলের জন্য প্রাপ্যতাযোগ্য। এর একমাত্র ব্যতিক্রম ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার। এটি ১৯৯৫ সালে প্রকাশের পর থেকে সম্পূর্ণ মালিকানাধীন।
==== ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের আধিপত্য এবং পতন ====
ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার প্রথম আত্মপ্রকাশ করে ১৯৯৫ সালে যা [[মাইক্রোসফট কর্পোরেশন|মাইক্রোসফট]] দ্বারা উইন্ডোজ ৯৫ অ্যাড-অন প্যাকেজের অংশ হিসেবে তৈরি করা হয়েছিল এবং লঞ্চের সময় এটি অত্যন্ত সফল হয়েছিল। ২০০০-এর দশকের গোড়ার দিকে, ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার বাজারের বেশিরভাগ অংশ দখল করে রেখেছিল, ২০০৩ সালে ৯৫%-এ পৌঁছেছিল। তবে অন্যান্য জনপ্রিয় ওয়েব ব্রাউজারগুলোর উত্থানের সাথে সাথে, বাজারে ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের আধিপত্য এখন প্রায় হাস্যকর বলে মনে হচ্ছে, ব্রাউজারটি অনেক ইন্টারনেট রসিকতার মূল বিষয়। যদিও এটি শীর্ষ পাঁচটি সর্বাধিক ব্যবহৃত ব্রাউজারের মধ্যে রয়ে গেছে, তবুও এর জনপ্রিয়তা এবং খ্যাতি এখনও ক্ষতিগ্রস্ত এবং ক্রমাগত হ্রাস পাচ্ছে এমন ব্যবহারের পরিসংখ্যান তা প্রতিফলিত করে। <ref>http://gs.statcounter.com/#all-browser-ww-monthly-200812-201602</ref>
ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের ইতিহাসে এমন অনেক বিষয় রয়েছে যা মানুষ এর জনপ্রিয়তা হ্রাসের কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছে, যার মধ্যে কিছু বিষয় এই সত্যকে প্রতিফলিত করে যে IE প্রকৃতিগতভাবে সম্পূর্ণ মালিকানাধীন। প্রথমত, ২০০১ সালে ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের ষষ্ঠ প্রধান সংস্করণ, IE6- এর মুক্তিকে এই মুহূর্তগুলোর মধ্যে একটি বলে মনে করা হয়। [[ম্যালওয়্যার]] এবং অন্যান্য নিরাপত্তা লঙ্ঘনের বৃহৎ সমস্যা দেখা দেওয়ার সাথে সাথে, বিশেষজ্ঞরা ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার ব্যবহারকারীদের অন্যান্য নির্ভরযোগ্য ব্রাউজারে স্যুইচ করার পরামর্শ দিতে শুরু করেছেন। <ref>https://www.schneier.com/blog/archives/2004/12/safe_personal_c.html</ref> ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের একটি সাধারণ অভিযোগ হলো এই ধরণের সমস্যা আবিষ্কার করা এবং সমস্যাটি সমাধানের জন্য একটি প্যাচ প্রকাশ করার মধ্যে সময় লাগে। এটি প্রায়ই এর মালিকানাধীন প্রকৃতির কারণে হয়। এই ধরনের সমস্যা সমাধানের জন্য একটি নিবেদিতপ্রাণ দল থাকার অর্থ হলো, যখন কোনও পরিচিত সমস্যা দেখা দেয় তখন সহায়তা পাওয়া সহজ হয়, তবে নিরাপত্তার বিষয়গুলোর সমাধান খুঁজে বের করার ক্ষেত্রে, ওপেন সোর্স উপাদানগুলো প্রায়ই সম্প্রদায়গুলোকে দ্রুত সমাধান খুঁজে বের করার জন্য বিনিয়োগ করে এবং তাই তারা একটি পৃথক দলের চেয়ে দ্রুত সমাধান তৈরি এবং প্রকাশ করতে পারে।
ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের পতনের কথা বলার সময় আরেকটি আকর্ষণীয় বিবেচ্য বিষয় হলো হার্ডওয়্যার IE এর সাথে সম্পর্কিত। ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার প্রায়ই মাইক্রোসফট পণ্যের সাথে প্যাকেজ করা হয়, বিশেষ করে উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম এবং এক্সবক্স ৩৬০। তবে যখন ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার প্রাধান্য পেয়েছিল, তখন এটি আরও অনেক ডিভাইসে প্রাপ্যতাযোগ্য ছিল, বিশেষ করে [[ম্যাকিন্টশ|ম্যাকিনটোশ কম্পিউটারে]] । ম্যাকিনটোশ ব্যবহারকারীদের মধ্যে জনপ্রিয় হওয়া সত্ত্বেও, মাইক্রোসফট ঘোষণা করে যে তারা ২০০৫ সালে ম্যাকিনটোশ কম্পিউটারে ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের ডেভেলপমেন্ট বন্ধ করার পরিকল্পনা করছে। যেহেতু IE একটি মালিকানাধীন ব্রাউজার, তাই এটি ডেভেলপমেন্টের দৃষ্টিকোণ থেকে অনেক অর্থবহ। এটি উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের ডেভেলপমেন্টের উপর আরও বেশি মনোযোগ দেওয়ার সুযোগ করে দেয়। তবে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্নতার ফলে বাজারের একটি বৃহৎ অংশ সম্পূর্ণরূপে প্রাপ্যতাযোগ্য হয়ে ওঠে না, এমন একটি সমস্যা যা সফটওয়্যারটি ওপেন সোর্স হলে বিদ্যমান থাকত না। এই কোড ব্যবহারের মাধ্যমে, ম্যাকিনটোশ ব্যবহারকারীরা নিজেরাই সফটওয়্যারটি আপডেট করতে পারবেন এবং তাদের পছন্দের কম্পিউটারে চালানোর জন্য ব্রাউজারগুলো আপডেট করার পদ্ধতিগুলো বের করতে পারবেন। এই বিশেষ উদাহরণে, মনে হচ্ছে একটি ওপেন সোর্স ব্রাউজার থাকা বৃহত্তর দর্শকদের কাছে পৌঁছানোর ক্ষেত্রে আরও উপকারী।
==== ফায়ারফক্সের আধিপত্য এবং পতন ====
২০০৪ সালের শেষের দিকে, [[মোজিলা|মজিলা]] ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে মজিলা ফায়ারফক্স প্রকাশ করে। এটি সম্পূর্ণরূপে ওপেন সোর্স ওয়েব ব্রাউজার। এটি এর গতি, নিরাপত্তা এবং ব্রাউজার এক্সটেনশনের মতো নতুন বৈশিষ্ট্যগুলোর জন্য ব্যাপক প্রশংসা লাভ করে, যাকে অ্যাড-অনও বলা হয়। অধিকন্তু, ওপেন সোর্স ইন নেচার হওয়ায় ফায়ারফক্স ব্যবহারকারীদের ইন্টারনেটের সাথে কীভাবে যোগাযোগ করা যায় সে সম্পর্কে আরও স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছিল। এটি মজিলা ম্যানিফেস্টোর দ্বিতীয় দাবি "ইন্টারনেট একটি বিশ্বব্যাপী পাবলিক রিসোর্স যা উন্মুক্ত এবং প্রাপ্যতাযোগ্য থাকা উচিত" দ্বারা সবচেয়ে ভালোভাবে অনুমান করা হয়েছে। <ref>https://www.mozilla.org/en-GB/about/manifesto/</ref>
একটি ওপেন সোর্স ব্রাউজার হিসেবে, ফায়ারফক্স তৃতীয় পক্ষের ডেভেলপমেন্ট থেকে উপকৃত হয়, বিশেষ করে অ্যাড-অনগুলোর মাধ্যমে যা ব্যবহারকারীদের ব্রাউজারটি কীভাবে কাজ করে তা নিয়ন্ত্রণ করতে দেয়। ফায়ারফক্সের কোড সকলের জন্য উপলব্ধ হওয়ার সাথে সাথে, গ্রাহকদের তাদের ব্রাউজিং অভিজ্ঞতায় ইচ্ছামত বৈশিষ্ট্য যোগ করার জন্য এক্সটেনশন তৈরি করার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল, যেমন অ্যাডব্লকের মতো এক্সটেনশন ব্যবহার করে অবাঞ্ছিত বিজ্ঞাপন অপসারণ করা। আরও সুন্দরভাবে, ফায়ারফক্স কাস্টম ব্যবহারকারী থিমগুলোকেও সমর্থন করেছিল। এটি ব্যবহারকারীদের ব্রাউজারের চেহারা এবং রঙের স্কিম পরিবর্তন করার সুযোগ দেয়। এটি আরও উপযুক্ত ব্রাউজিং অভিজ্ঞতা তৈরি করে। নিরাপত্তা সমস্যার সমাধান দ্রুত খুঁজে পাওয়া যায় এবং ওপেন সোর্স প্রোগ্রামগুলো আরও সুরক্ষিত হওয়ার সাথে সাথে, ফায়ারফক্স তাৎক্ষণিকভাবে জনপ্রিয়তা অর্জন করে, বিশেষ করে তার প্রধান প্রতিযোগী ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার ৬-এর তুলনায়।
তবে ফায়ারফক্সের পরিষেবা হিসেবে একটি প্রধান সমস্যা হলো আপডেট এবং এর মধ্যে থাকা বিষয়বস্তুর ক্ষেত্রে এর নির্ভরযোগ্যতা। ফায়ারফক্সের অনেক আপডেটই ছোটখাটো প্রকৃতির এবং সম্প্রদায়-ভিত্তিক হওয়ায়, গ্রাহকদের আগ্রহের জন্য খুব কমই নতুন, বৃহৎ পরিসরের বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এর ফলে ফায়ারফক্স ব্যবহারকারীদের একটি নিবেদিতপ্রাণ সম্প্রদায় তৈরি হয়। কিন্তু নতুন ব্যবহারকারীর সংখ্যা কম হয়। যদিও ফায়ারফক্সের স্থিতিশীলতা ধারাবাহিকভাবে ভালো রয়ে গেছে, ছোটখাটো সম্প্রদায়-চালিত বাগ সংশোধনের বাইরে প্রভাবশালী উন্নতির অভাবের ফলে এর ব্যবহারের পরিসংখ্যান কিছুটা স্থবির হয়ে পড়েছে। <ref>http://www.digitaltrends.com/computing/internet-explorer-chrome-and-firefox-market-share-for-october/</ref>
==== গুগল ক্রোমের উত্থান ====
২০০৮ সালে গুগল তাদের নিজস্ব ওয়েব ব্রাউজার, গুগল ক্রোম দিয়ে ব্রাউজার যুদ্ধে প্রবেশ করে। মুক্তি পাওয়ার পর থেকে, ক্রোমের জনপ্রিয়তা কেবল বৃদ্ধি পেয়েছে, বর্তমানে এটি বাজারে আধিপত্য বিস্তার করেছে এবং ফেব্রুয়ারি ২০১৬ পর্যন্ত মোট ব্যবহারের ৪৭.৭৭% ব্যবহার রয়েছে। গুগল ক্রোম একটি ফ্রিওয়্যার, যার অর্থ এর কিছু উপাদান রয়েছে যা প্রকৃতিগতভাবে মালিকানাধীন, তবে এর বেশিরভাগ কোডই ওপেন সোর্স। এর জনপ্রিয়তার পেছনে অনেক বৈশিষ্ট্য রয়েছে, এর সহজলভ্য, ন্যূনতম ইন্টারফেস এবং গতি মাত্র কয়েকটি।
ওপেন সোর্স হওয়ায় ফায়ারফক্সের মতোই ক্রোম উপকৃত হয়েছে, ঘন ঘন আপডেট, থিম এবং ব্রাউজার এক্সটেনশনের মতো বৈশিষ্ট্যগুলো ক্রোম ব্যবহারকারীদের জন্য উপলব্ধ। যদিও ফায়ারফক্সের ওপেন সোর্স প্রকৃতি এটিকে প্রাথমিকভাবে জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি করেছিল, একই রকম বৈশিষ্ট্য এবং সুপরিচিত আইটি কোম্পানি গুগলের সাথে সংযোগ ক্রোমকে তার আধিপত্য প্রতিষ্ঠার জন্য প্রয়োজনীয় রিলিজের সময় তা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করেছিল। [[ক্রোমিয়াম (ওয়েব ব্রাউজার)|ক্রোমিয়াম]] ক্রোমের সোর্স কোডে সহজে প্রাপ্যতাের সুযোগ করে দেওয়ার ফলে, ইচ্ছুকদের আউটসোর্সিং করে ক্রোমের জন্য লিনাক্স এবং ম্যাক ওএস এক্স পোর্টের কিছু ডেভেলপমেন্ট কাজ সহজ করা হয়েছে। <ref>http://arstechnica.com/information-technology/2008/09/google-unveils-chrome-source-code-and-linux-port/</ref> এর ফলে গুগলকে ইউজার ইন্টারফেস উন্নত করার এবং ব্রাউজারের আরও ভালো বিজ্ঞাপন দেওয়ার মতো বৈশিষ্ট্যগুলোতে মনোনিবেশ করার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছিল, এই সুযোগটি কাজে লাগিয়ে যে সার্চ ইঞ্জিন গুগল তাদের ব্রাউজার প্রচারের জন্য একটি সাধারণভাবে ব্যবহৃত পরিষেবা ছিল। তাদের কোডের ওপেন সোর্সিংয়ের মাধ্যমে ঘন ঘন আপডেটের সুযোগ দেওয়া হয় এবং নির্ভরযোগ্য এবং দ্রুত পরিষেবা পাওয়া যায়, তাই গুগল ক্রোম কেন জনপ্রিয়তার দিক থেকে এগিয়ে চলেছে তা স্পষ্ট।
'''http://www.telegraph.co.uk/technology/news/9163335/Whats-behind-the-rise-of-Google-Chrome.html'''
== ওপেন সোর্স সফটওয়্যার কী? ==
ওপেন সোর্স সফটওয়্যার (OSS) হলো GNU এবং Linux এর মতো প্রোগ্রাম যা প্রোগ্রামারদের নির্দিষ্ট সফটওয়্যার সম্পাদনা এবং উন্নত করার জন্য সোর্স কোড পরিবর্তন করতে দেয়। মুইর তার ওপেন সোর্স সফটওয়্যার বইয়ে OSS কে "প্রকৃত সোর্স কোডে প্রাপ্যতা" হিসেবে সংজ্ঞায়িত করেছেন। এটি প্রায়ই GNU পাবলিক লাইসেন্সের অধীনে পাওয়া যায়। এটি প্রোগ্রামারদের সফটওয়্যার পরিবর্তন করতে এবং এটি পুনরায় বিতরণ করতে দেয়, এই প্রয়োজনে যে তারা এই পরিবর্তনগুলো অন্যান্য ডেভেলপারদের কাছে উপলব্ধ করে।" <ref>Muir, Scott P, and Leggott, Mark, eds. Open Source Software. Bradford, GBR: Emerald Group Publishing Ltd, 2005. ProQuest ebrary. Web. 5 March 2016</ref> এটিকে বিনামূল্যের সফটওয়্যার হিসাবেও পরিচিত করা যেতে পারে তবে আমি এই বাক্যাংশটি থেকে দূরে থাকব কারণ এটি 'মুক্ত বাকস্বাধীনতা'র পরিবর্তে 'মুক্ত জিনিস' ধারণার মতো বিনামূল্যের কথা উল্লেখ করে।
=== ওএসএসের ইতিহাস ===
ধারণা করা হয় যে UNIVAC ('ইউনিভার্সাল অটোমেটিক কম্পিউটার'-এর সংক্ষিপ্ত রূপ) প্রথম ওপেন সোর্স সফটওয়্যার, 'A-2 সিস্টেম' তৈরি করেছিল। এটি ১৯৫৩ সালে তৈরি করা হয়েছিল এবং সেই বছরের শেষ নাগাদ বিতরণ করা হয়েছিল। পণ্যটিতে সোর্স কোডও অন্তর্ভুক্ত ছিল যা ব্যবহারকারীদের প্রদান করা হয়েছিল যাতে তারা (যদি তারা ইচ্ছা করে) পণ্যের উন্নত সংস্করণগুলো UNIVAC-তে ফেরত পাঠাতে পারে <ref>Peter Cohan. (2009). Back to the 1970s: IBM in mainframe antitrust suit again. Retrieved march/3rd, 2016, from http://www.dailyfinance.com/2009/10/09/back-to-the-1970s-ibm-in-mainframe-antitrust-suit-again/</ref> ১৯৬০-এর দশকের আগের যুগে এটা বলা নিরাপদ ছিল যে বেশিরভাগ প্রোগ্রাম বিনামূল্যে ছিল। তবে এগুলো বিনামূল্যে ছিল না কারণ সফটওয়্যার ডেভেলপাররা গ্রাহকদের বাগ ঠিক করতে এবং পণ্যের উন্নতি ফেরত পাঠাতে সাহায্য করার ধারণাটি পছন্দ করেছিলেন যাতে পণ্যটি আরও ভালোভাবে তৈরি করা যায় (যদিও ইউনিভ্যাকের A-2 সিস্টেমটি এর দ্বারা চালিত হয়েছিল) কিন্তু কারণ সেই সময়ে প্রযুক্তি ছিল ভীতিকর এবং খুবই ভয়ঙ্কর। এর আংশিক কারণ ছিল সেই সময়ে সায়েন্স ফিকশন সিনেমার প্রযোজনাগুলোকে ভৌতিক হিসেবে দেখা হত। মানুষের মনে একটা বিরাট ভয় ছিল,যদি কোম্পানিগুলো তাদের কাজের ব্যাপারে স্বচ্ছ না হয়, তাহলে মানুষ পেছনের দরজা দিয়ে বেরিয়ে যাবে, ফলে হ্যাক করা সহজ হবে।
সময়ের সাথে সাথে প্রযুক্তি অনেক উন্নত হতে শুরু করে, এর ফলে প্রতিযোগীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পায় এবং দামও বৃদ্ধি পায়। তবে প্রতিযোগীদের সংখ্যা বৃদ্ধির অর্থ হলো নোংরা কৌশলের প্রবর্তন। এই বাজারটি একসময় একটি অলিগোপলি ছিল এবং আইবিএমের মতো কোম্পানিগুলো এটিকে এভাবেই রাখতে চাইত। ১৯৬৯ সালে কম্পিউটার বাজারের এই বৃহৎ খেলোয়াড়টির বিরুদ্ধে প্রতিযোগিতামূলক মূল্য নির্ধারণের জন্য একটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। <ref>Hopper, Grace. "Keynote Address". Proceedings of the ACM SIGPLAN History of Programming Languages (HOPL) conference</ref>
=== ওএসএস-এর সমালোচনা ===
সময়ের সাথে সাথে OSS মালিকানাধীন সফটওয়্যারের চেয়ে বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এর মূল কারণ হলো এটি বিনামূল্যে, যেখানে মালিকানাধীন সফটওয়্যারের জন্য মানুষকে অর্থ প্রদান করতে হয়। তবে এটি একটি অলাভজনক সম্প্রদায় দ্বারা তৈরি হওয়ায় এর বেশ কিছু অসুবিধা রয়েছে। মালিকানাধীন সফটওয়্যারের তুলনায় OSS ব্যবহারের অনেক সুবিধা রয়েছে। ব্যবসার জন্য প্রধান সুবিধা হলো ওপেন সোর্স হলো বাজারে প্রবেশের ক্ষেত্রে ব্যবসার জন্য আরও বেশি সাফল্য অর্জনের একটি ভালো উপায়। যখন কোনও কোম্পানি OSS ব্যবহারের পরিকল্পনা করে, তখন তারা এমন পণ্য প্রতিষ্ঠা করতে পারে যা নির্ভরযোগ্য, উচ্চমানের এবং শিল্পের মানদণ্ডের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ, যার অর্থ তারা প্রতিদ্বন্দ্বী কোম্পানিগুলোর উপর এগিয়ে থাকতে পারে। এটিকে আরও নির্ভরযোগ্য বলে মনে করা হয় কারণ এতে অনেক স্বাধীন প্রোগ্রামার (যেমন লিনাক্স) সহযোগিতা করতে পারে এবং সাধারণ প্রকাশের আগে এর বাগ এবং সমস্যাগুলো খুঁজে বের করতে পারে। রেনল্ডস, <ref>Carl; Jeremy Wyatt (February 2011). "Open Source, Open Standards, and Health Care Information Systems". JMIR 13. doi:10.2196/jmir.1521</ref> OSS এর আরেকটি সুবিধা এবং অনেক নতুন প্রযুক্তি সংস্থা এটি ব্যবহারের অন্যতম কারণ হলো এটি সস্তা এবং ব্যবহার করা সহজ। মালিকানাধীন সফটওয়্যারের বিপরীতে যেখানে ব্যয়বহুল গবেষণা এবং উন্নয়ন করতে হয়।
OSS ব্যবহারের ফলে একটি কোম্পানি তাদের ব্যবহৃত প্রযুক্তির সাথে আরও নমনীয় হতে পারে। এর ফলে একটি ব্যবসা বাজারে দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানাতে পারে এবং দ্রুত উদ্ভাবন অর্জন করতে পারে। এটি একটি ক্রমাগত অগ্রগতিশীল প্রযুক্তিগত বিশ্বে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। OSS কৌশল ব্যবহারের মাধ্যমে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান অ্যাপল এবং মাইক্রোসফটের মতো বৃহৎ কোম্পানির বিরুদ্ধে সুযোগ পায় কারণ এটি সস্তা। <ref>Sharma, Srinarayan; Vijayan Sugumaran; Balaji Rajagopalan (2002). "A framework for creating hybrid-open source software communities"</ref> OSS-এর আরেকটি সুবিধা হলো, সফটওয়্যারের ডেভেলপাররা তাদের নিজস্ব সফটওয়্যারের মতো ক্ষমতায়িত বোধ করবে, যার অর্থ তারা আরও ভালোভাবে তৈরি পণ্য তৈরি করবে কারণ একজন কর্মী তাদের নিজস্ব তৈরিতে কাজ করার জন্য আরও বেশি অনুপ্রাণিত বোধ করবে। এই মালিকানার বোধের কারণে পণ্য এবং কোম্পানির প্রতি আনুগত্য তৈরি হয়। OSS ব্যবহারকারীদের যদি দক্ষ এবং কম্পিউটারে দক্ষ হন, তাহলে বিরক্তিকর বাগ ঠিক করার জন্য পরবর্তী প্যাচের জন্য অপেক্ষা করতে হবে না।
সামগ্রিকভাবে, OSS ব্যবহার আপনার ব্র্যান্ড এবং এর অর্থ কী তা সংজ্ঞায়িত করতে সাহায্য করে। OSS কে ব্র্যান্ডগুলোর জন্য একটি ইতিবাচক ভাবমূর্তি হিসেবে দেখা হয় কারণ এটি ভেন্ডর লক-ইন (যা মালিকানাধীন লক-ইন নামেও পরিচিত) বা প্যাচের জন্য চার্জিংয়ের ধারণার বিরুদ্ধে দাঁড়ায়। যেসব কোম্পানি OSS ব্যবহার করে তারা সাধারণত ব্যবসায়িক পরিভাষা 'কাইজেন' (ক্রমাগত উন্নতি) তে বিশ্বাস করে, যার অর্থ তারা সর্বদা তাদের মূল্যবান গ্রাহকের কাছে আরও ভালো পণ্য সরবরাহ করতে চায়। এটি এই ধারণার প্রতিনিধিত্ব করে যে প্রযুক্তি মুক্ত হওয়া উচিত। আমাদের সবসময় প্রিমিয়াম মূল্য পরিশোধ করতে হবে না।
বেশিরভাগ জিনিসের মতো অনেক দুর্দান্ত সুবিধার সাথে সাথে কিছু অসুবিধাও থাকতে হবে এবং OSSও এর থেকে আলাদা নয়। গ্রাহকদের চাহিদা শোনার জন্য ডেভেলপারদের উপর বাণিজ্যিক চাপের অভাব রয়েছে। এর অর্থ হলো তারা এমন সফটওয়্যার তৈরি করবে যা গ্রাহকদের চেয়ে তাদের চাহিদা অনুসারে তৈরি করা হবে। পণ্যের গুণমান এতে কাজ করা প্রোগ্রামারদের ধরণের দ্বারাও প্রভাবিত হতে পারে। কারণ OSS-এর সাফল্য অনেকটাই দলীয় কাজের উপর নির্ভর করে। সফটওয়্যারটিতে কাজ করা কিছু প্রোগ্রামারের বিভিন্ন লক্ষ্য থাকতে পারে, সফটওয়্যার সম্পর্কে ধারণা থাকতে পারে যা একে অপরের সাথে সাংঘর্ষিক হতে পারে। ইজেল এবং সোর্সএক্সচেঞ্জের মতো বেশ কয়েকটি ওএসএস প্রকল্পে এটি ঘটেছে। <ref>Sharma, Srinarayan; Vijayan Sugumaran; Balaji Rajagopalan (2002). "A framework for creating hybrid-open source software communities"</ref> বড় কোম্পানিগুলো ওপেন সোর্স সফটওয়্যার ব্যবহার না করার একটি প্রধান কারণ হলো নিরাপত্তা ঝুঁকি। সোর্স কোড দেখানো হলে নিরাপত্তার দুর্বলতা দেখা যাবে যা ত্রুটি খুঁজে বের করা সহজ করে তুলতে পারে। বৃহৎ পরিসরে OSS প্রকল্পের ক্ষেত্রে এটি তেমন একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়, তবে একক ব্যক্তির প্রকল্পের ক্ষেত্রে বড় ধরনের নিরাপত্তা ঝুঁকি থাকতে পারে।
ওপেন সোর্স ব্যবহারের ফলে একই ধরণের জিনিসের ক্লোন তৈরি হয়। এর একটি ভালো উদাহরণ হলো মোবাইল গেম ফ্ল্যাপি বার্ড। যখন এটি সফল হয়, তখন আমরা অ্যান্ড্রয়েডে অনেক অনুরূপ কপি দেখতে পাই। যেখানে ক্লোজড সোর্স সফটওয়্যারের তাদের সফটওয়্যারে কী লাগানো হবে তার উপর বেশি নিয়ন্ত্রণ থাকে <ref>Joab Jackson. Open source vs. proprietary software. Retrieved March/4th, 2016, from http://www.pcworld.com/article/243136/open_source_vs_proprietary_software.html</ref> এর ফলে অনেক OSS প্রকল্প ক্লোন করা হয়। এর ফলে গ্রাহক নিম্নমানের সফটওয়্যারের চাপে পড়ে যান এবং ভালো সফটওয়্যার থেকে বঞ্চিত হন।
ডেভেলপাররা এতে যোগ এবং পরিবর্তন করার সাথে সাথে OSS বাস্তব সময়ে বিকশিত হতে থাকে, যার অর্থ এটি আরও উন্নত মানের হতে পারে। OSS এর সাথে সম্পর্কিত একটি সাধারণ ভুল ধারণা হলো যে এটি মালিকানাধীন সিস্টেমের তুলনায় বেশি নিরাপদ এবং ভাইরাসের ঝুঁকি কম কারণ এর বিপুল সংখ্যক ব্যবহারকারী রয়েছে যারা যেকোনো সমস্যা সমাধানের জন্য সেখানে উপস্থিত থাকে। যদিও এটি সত্য হতে পারে, তবে এটি অগত্যা এটিকে সহজাতভাবে নিরাপদ করে তোলে না। লোকেরা কোডটি দেখে। এর ফলে নিরাপত্তার দুর্বলতাগুলো সহজেই ধরা পড়ে। OSS নিরাপত্তার উপর একটি তদন্তে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে যে OSS কোডকে দৃশ্যমান করে তোলে, তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই, উৎস দৃশ্যমানতা একটি নির্দিষ্ট প্রকল্পের জন্য সৃষ্ট সামগ্রিক নিরাপত্তা ঝুঁকি বাড়াতে খুব কমই সাহায্য করে। নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা জানিয়েছেন,বেশিরভাগ পরিস্থিতিতে, উৎসের দৃশ্যমানতা প্রকল্পের স্থিতিশীলতা এবং নিরাপদ অবস্থার সম্মতিতেও সহায়তা করতে পারে।
<u>সফটওয়্যার</u> সবকিছুই একটি একক অপারেটিং সিস্টেম UNIX থেকে আসে, মূলত এটি IOS10 সহ ম্যাকের IOS সিস্টেমের ভিত্তি স্থাপন করে। এটি মূলত কোড লেখার পরিবর্তে একটি আগে থেকে তৈরি অপারেটিং সিস্টেম। যদিও এটি প্রায় প্রতিটি অপারেটিং সিস্টেমের ভিত্তি তৈরি করে, এটি খুবই 'বন্ধ'। কিন্তু এটি এই তত্ত্বের পরিপন্থী যে সবাই চায় সবকিছু উন্মুক্ত থাকুক এবং ভাগ করে নেওয়া হোক যাতে আপনি আপনার চাহিদা অনুযায়ী সফটওয়্যারটি সম্পাদনা এবং তৈরি করতে পারেন।
সহজ কথা হলো, সকলেই তাদের চাহিদা অনুযায়ী সফটওয়্যার সম্পাদনা এবং পরিচালনা করতে চায় না। এটা তাদের জন্য খুব জটিল হতে পারে অথবা তারা হয়তো আগ্রহী নাও হতে পারে। কিছু ব্যক্তি কেবল একটি সাধারণ কাজের জন্য কম্পিউটার ব্যবহার করতে চান এবং লগ ইন এবং CLU ব্যবহারের ঝামেলা মোকাবেলা করতে চান না। এই ক্ষেত্রে একটি GUI, গ্রাফিক্যাল ইউজার ইন্টারফেসই যথেষ্ট। এটি দ্রুত, সহজ এবং ব্যবহার করা সহজ। ব্যবহারকারী কী চায় তা আপনাকে বিবেচনা করতে হবে। তারা কি অফুরন্ত কোডিং চায় নাকি মেকানিক্স চায়, তবে কি এটা উন্মুক্ত নাকি বাণিজ্যিকীকরণ করা হবে?
== মালিকানাধীন সফটওয়্যার ==
=== ভূমিকা ===
মালিকানাধীন সফটওয়্যার হলো এমন সফটওয়্যার যা আইনত সম্পূর্ণরূপে এর স্রষ্টা বা স্রষ্টাদের মালিকানাধীন। সাধারণত, মালিকানাধীন সফটওয়্যারের সোর্স কোড দেখার ক্ষমতা এবং এর পরিবর্তনের উপর খুব কঠোর বিধিনিষেধ থাকে। এই সীমাবদ্ধতার কারণে, ব্যবহারকারীর প্রয়োজন অনুসারে প্রোগ্রামটি পরিবর্তন বা সংশোধন করার ক্ষমতা সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ। এই ধরণের সফটওয়্যার (যদিও কখনও কখনও বিনামূল্যে) সাধারণত শুধুমাত্র একটি ফি দিয়ে পাওয়া যায় এবং শুধুমাত্র লাইসেন্সপ্রাপ্ত কী হোল্ডাররা এর উদ্দেশ্যে সফটওয়্যারটি ব্যবহার করতে পারেন।
মালিকানাধীন সফটওয়্যার লাইসেন্স এবং লাইসেন্স চুক্তির মাধ্যমে ব্যবহৃত হয়। ডগলাস ই ফিলিপস তার "সফটওয়্যার লাইসেন্স উন্মোচিত" বইতে রূপরেখা দিয়েছেন : লাইসেন্স আইন কীভাবে সফটওয়্যার প্রাপ্যতা নিয়ন্ত্রণ করে", <ref>Phillips, DE 2009, Software License Unveiled : How Legislation by License Controls Software Access, Oxford University Press, USA, Cary, NC, USA. Available from: ProQuest ebrary. [6 March 2016].</ref> সমস্ত ব্যবহারকারী লাইসেন্স চুক্তি অনুসরণ করে এমন নির্দিষ্ট নির্দেশিকা।
এর মধ্যে রয়েছে:- "আপনি হয়তো ভেবেছেন যে আপনি কিছু কিনেছেন। কিন্তু আপনি তা করেননি। সফটওয়্যারটি লাইসেন্সপ্রাপ্ত, বিক্রি করা হয়নি।"
"আপনি এখন একটি সফটওয়্যার কোম্পানির সাথে একটি চুক্তির পক্ষ। লাইসেন্সটি আপনার এবং সফটওয়্যার প্রদানকারীর মধ্যে একটি আইনত বাধ্যতামূলক চুক্তি।"
"যদি এটি না বলে যে আপনি এটি করতে পারবেন, তাহলে আপনি পারবেন না। সফটওয়্যার প্রদানকারী আপনাকে সফটওয়্যারটি ব্যবহারের সুযোগ দেয়। কিন্তু আপনি এমন কিছু করতে পারবেন না যা লাইসেন্স স্পষ্টভাবে সুযোগ দেয় না। অবশ্যই, আপনাকে এমন কিছু করা থেকেও বিরত থাকতে হবে যা এটি স্পষ্টভাবে নিষিদ্ধ করে। উদাহরণস্বরূপ, আপনি একবারে একাধিক ব্যক্তিকে সফটওয়্যারটি ব্যবহার করতে দিতে পারবেন না; এটি পুনরায় বিক্রয় বা বিপরীত প্রকৌশলী করতে পারবেন; অথবা, যদি সফটওয়্যারটি একটি নির্দিষ্ট ধরণের শেষ ব্যবহারকারীর জন্য মনোনীত করা হয়, তাহলে সেই ধরণের শেষ ব্যবহারকারী না হয়ে এটি ব্যবহার করুন।"
"যদি আপনি এমন কিছু করেন যা এটি বলে না যে আপনি করতে পারবেন (অথবা বলে যে আপনি করতে পারবেন না), তাহলে আপনি সফটওয়্যারটি একেবারেই ব্যবহার করতে পারবেন না। সফটওয়্যারটি ব্যবহারের জন্য আপনার অনুমতি লাইসেন্স চুক্তির সমস্ত শর্তাবলী মেনে চলার উপর নির্ভরশীল, যার মধ্যে আপনার ব্যবহারকে সীমাবদ্ধ করে এমন সমস্ত শর্তাবলীও অন্তর্ভুক্ত। ফলস্বরূপ, যেকোনো শর্ত লঙ্ঘনের ফলে আপনার সমস্ত লাইসেন্স অধিকার নষ্ট হতে পারে এবং আপনি কেবল চুক্তি ভঙ্গকারীই নন, বরং কপিরাইট লঙ্ঘনকারীও হয়ে ওঠেন।"
"যদি সফটওয়্যার কোম্পানি কিছু করতে চায়, তাহলে তা করতে পারে। আপনি সফটওয়্যার প্রদানকারীকে সফটওয়্যারে পণ্য সক্রিয়করণ, পণ্য যাচাইকরণ এবং স্বয়ংক্রিয় আপডেট ফাংশন অন্তর্ভুক্ত করার জন্য নিঃশর্ত অনুমতি দেন। এই ফাংশনগুলো সফটওয়্যারে আপনার প্রাপ্যতাকে প্রভাবিত করতে পারে, এবং সম্ভাব্যভাবে আপনার কম্পিউটারে, এবং সফটওয়্যার এবং আপনার কম্পিউটার সম্পর্কে তথ্য সফটওয়্যার প্রদানকারীর কাছে প্রেরণ করতে পারে।"
"যদি সফটওয়্যারে কিছু ভুল হয়ে যায়, তাহলে তা ঠিক করার জন্য সফটওয়্যার কোম্পানির উপর নির্ভর করবেন না। আপনি সম্মত হন যে সফটওয়্যার সরবরাহকারী আপনাকে খুব কম বা কোনও ওয়ারেন্টি দেয় না এবং সফটওয়্যার ত্রুটির জন্য আপনার কাছে খুব কম বা কোনও দায়বদ্ধতা থাকবে না। আপনি আরও সম্মত হন যে সফটওয়্যার তৃতীয় পক্ষের অধিকার লঙ্ঘন করলে আপনার বিরুদ্ধে যে দাবি হতে পারে তার জন্য সফটওয়্যার সরবরাহকারী দায়ী থাকবে না।" (ফিলিপস, ২০০৯)
মুক্ত সফটওয়্যার আন্দোলন ১৯৮৩ সালে শুরু হয়েছিল। এর প্রবর্তনের পর একদল ব্যক্তি "মুক্ত সফটওয়্যার" শব্দটিকে ওপেন সোর্স সফটওয়্যার (OSS) দ্বারা প্রতিস্থাপন করার পক্ষে মত প্রকাশ করেন। এটি কর্পোরেট জগতের ক্ষেত্রে আরও সুবিধাজনক। সফটওয়্যার ডেভেলপাররা তাদের সফটওয়্যারটি একটি ওপেন সোর্স লাইসেন্স কাঠামোর মধ্যে প্রকাশ করতে চাইতে পারেন যাতে যে কেউ একই সফটওয়্যারটি তৈরি করতে পারে অথবা এর অভ্যন্তরীণ কার্যকারিতা সম্পর্কে আরও ভালভাবে বুঝতে পারে। ওপেন সোর্স সফটওয়্যারের সাহায্যে, যে কেউ এতে পরিবর্তন আনতে, নতুন অপারেটিং সিস্টেম এবং প্রসেসর আর্কিটেকচারে পোর্ট করতে সক্ষম। এটি এটিকে অন্যদের সাথে ভাগ করে নেওয়ার বা কিছু ক্ষেত্রে বাজারজাত করার সুযোগ দেয়।
=== উদাহরণ ===
প্রোপ্রাইটি সফটওয়্যারের সবচেয়ে বেশি ব্যবহারকারীদের মধ্যে একটি হলো [https://www.microsoft.com/en-gb মাইক্রোসফট কর্পোরেশন] । [[উইন্ডোজ এক্সপি]] এবং [[উইন্ডোজ ৮|উইন্ডোজ ৮ এর]] মতো অপারেটিং সিস্টেম থেকে শুরু করে বিশ্বব্যাপী প্রভাবশালী [[মাইক্রোসফট অফিস]] প্রোগ্রাম পর্যন্ত প্রতিটি সফটওয়্যারই সুরক্ষার যথাযথ ব্যবস্থা ব্যবহার করে। মালিকানাধীন প্রোগ্রামগুলোর আরও উদাহরণগুলোর মধ্যে রয়েছে; [http://www.adobe.com/ অ্যাডোবি ফ্ল্যাশ প্লেয়ার], [[আইটিউন্স|আইটিউনস]] এবং [[ম্যাকওএস|ম্যাক ওএস এক্স]] ।
=== সুবিধা ===
মালিকানাধীন সফটওয়্যার ব্যবহারের সুবিধা এবং অসুবিধা উভয়ই রয়েছে। ওপেন সোর্স সফটওয়্যার সিস্টেমের পরিবর্তে মালিকানাধীন সফটওয়্যার সিস্টেম ব্যবহারের সুবিধা হলো যে পণ্যটি ব্যবহার করার সময় আপনার যে কোনও সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে তার জন্য অনেক বেশি নিবেদিতপ্রাণ সহায়তা রয়েছে। যেহেতু মালিকানাধীন সফটওয়্যারটি কোনও কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান দ্বারা তৈরি করা হয় এবং পণ্য হিসেবে বিক্রি করা হয়, তাই কোনও সমস্যা হলে বা সিস্টেম ইনস্টল/সেট আপ করার ক্ষেত্রে যদি তাদের সাহায্যের প্রয়োজন হয়, তাহলে গ্রাহকদের জন্য সর্বদা সহায়তা পাওয়া নিশ্চিত করা কোম্পানির স্বার্থে। এটি ওপেন সোর্স সফটওয়্যার থেকে আলাদা, যেখানে একটি কমিউনিটি সাপোর্ট সিস্টেম বেশি থাকে যেখানে সঠিক সমাধান খুঁজে না পাওয়া পর্যন্ত আপনাকে বিভিন্ন সমাধান অনুসন্ধান করতে হতে পারে। মালিকানাধীন সফটওয়্যার সাধারণত ব্যবসায়িক জগতের চাহিদা পূরণের জন্য এবং বাজারের চাহিদা পূরণের জন্য তৈরি করা হয়। এই কারণে, মালিকানাধীন সফটওয়্যারে প্রায়ই ওপেন সোর্স সফটওয়্যারের তুলনায় বেশি বৈশিষ্ট্য থাকে, উদাহরণস্বরূপ, ওয়ার্ড এবং এক্সেল সহ সমস্ত [[মাইক্রোসফট অফিস]] অ্যাপ্লিকেশনগুলোকে একই সাথে একই কাজে কাজ করার জন্য একসাথে লিঙ্ক করা যেতে পারে।
=== সমালোচনা ===
মালিকানাধীন সফটওয়্যারের একটি প্রধান সমালোচনা হলো যে এই ধরণের সফটওয়্যারের বেশিরভাগই কেবল ক্রয়ের মাধ্যমে পাওয়া যায়। এই ধরণের সফটওয়্যারের দামের পরিসর সস্তা থেকে শুরু করে খুব ব্যয়বহুল পর্যন্ত হতে পারে, উদাহরণস্বরূপ, [[উইন্ডোজ ১০|Windows ১০]] £২৯.৯৯ পর্যন্ত সস্তা হতে পারে। এটি [[অ্যাডোবি ফটোশপ|Adobe Photoshop]] এর মতো অন্যান্য প্রোগ্রামের দাম £২০০০ এ কেনা যাবে। দামের এই পরিসরটি সাধারণ ব্যবহারকারীর জন্য খুবই বিরক্তিকর হতে পারে কারণ একটি কম্পিউটার প্রোগ্রামের জন্য হাজার হাজার পাউন্ড খরচ করা খুবই অযৌক্তিক বলে মনে হয়। মালিকানাধীন সফটওয়্যারের আরও একটি সমালোচনা হলো এর সোর্স কোড দেখতে এবং প্রোগ্রামের কোডিং পরিবর্তন করতে না পারা। ব্যবসায়িক জগতে বিদ্যমান চাহিদা এবং প্রয়োজনীয়তা ক্রমাগত পরিবর্তিত হচ্ছে। এই ক্রমাগত পরিবর্তনশীল পরিবেশের সাথে, মালিকানাধীন সফটওয়্যার প্রায়ই তাদের গ্রাহকদের চাহিদার সাথে তাল মিলিয়ে চলতে পিছিয়ে পড়তে পারে। এটি ওপেন সোর্স সফটওয়্যারের বাজার উন্মুক্ত করে দেয় কারণ ব্যবহারকারীরা চাইলে তাদের উদ্দেশ্য অনুসারে সফটওয়্যারের কার্যকারিতা পরিবর্তন করতে পারেন। মালিকানাধীন সফটওয়্যারে কাস্টমাইজেশন এবং স্ব-উন্নতির অভাবের কারণেই অনেক মানুষ ওপেন সোর্স সিস্টেম ব্যবহার করতে পছন্দ করে।
=== ওপেন সফটওয়্যার বনাম মালিকানাধীন সফটওয়্যার ===
ওপেন সফটওয়্যার মূলত এমন একটি সফটওয়্যার যা সকলের জন্য বিনামূল্যে এবং প্রাপ্যতাযোগ্য। এটি তাদের চাহিদা পূরণের জন্য প্রোগ্রামটি পরিবর্তন করতে দেয়। এটি অনেক কম্পিউটিং ভক্তদের বিশ্বাস করা অনেক মূল থিম এবং ধারণার একটি অনুসরণ করে। তবে একটি খুব বড় নিরাপত্তা ঝুঁকি রয়েছে এবং ওপেন সফটওয়্যার ব্যবহার করার সময় অনেক লাইসেন্সিং আইন বিবেচনায় নিতে হয়। অন্যদিকে মালিকানাধীন সফটওয়্যার আছে যা অর্থায়ন করা হয় এবং আপনাকে এর জন্য অর্থ প্রদান করতে হবে। এর একটি গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ হলো উইন্ডোজ এক্সপি। প্রায়শই মালিকানাধীন সফটওয়্যার হ্যাকারদের তাদের সিস্টেমে থাকা যেকোনো ত্রুটি বা বাগ কাজে লাগাতে বলে। কিন্তু যখন সমস্যাটি শনাক্ত করা হয়, তখন প্রায়ই তারা এই সমস্যা সমাধানের জন্য কিছু করে না। কারণ এতে অন্যান্য পক্ষের আগ্রহ থাকে। ওপেন সফটওয়্যার খুবই উপকারী কারণ এটি একাধিক ব্যক্তিকে একই জিনিসে একসাথে কাজ করার সুযোগ দেয়, যেমন এই প্রকল্পটি। এটি খুবই কার্যকর, ব্যক্তিদের অন্যদের কাজ পর্যালোচনা করার সুযোগ করে দেওয়ার ফলে আরও সমস্যা চিহ্নিত এবং সমাধান করা হবে। ব্যবহারে খুবই উপকারী, ওপেন সফটওয়্যার আপনাকে একসাথে একাধিক ব্যবহারকারী রাখার সুযোগ দেয়, তবে এটির অপব্যবহার না করা গুরুত্বপূর্ণ। কোনও বাগ-মুক্ত সফটওয়্যার নেই, এটি ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং আরও ভালোর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। প্রোপ্রাইটারি সফটওয়্যারে CLI-এর বিপরীতে GUI এবং ইন্টারঅ্যাকশন বেশি থাকে। এটি সাধারণত ওপেন সফটওয়্যারের সাথে সম্পর্কিত। একটি GUI (গ্রাফিক্যাল ইউজার ইন্টারফেস) মূলত ছবির একটি সিরিজ, একটি মেনু। এটি দ্রুত এবং সহজেই ঘুরে দেখা যায় এবং ব্যবহার করা যায়। এটি এমন ব্যবহারকারীদের জন্য খুবই উপকারী যারা কম্পিউটার শিক্ষিত নন এবং কেবল দ্রুত প্রযুক্তি ব্যবহার করতে চান।
== ওপেন সোর্স এবং মালিকানাধীন সফটওয়্যারের ভবিষ্যৎ ==
ওপেন সোর্স পূর্ব-বিদ্যমান নকশা এবং ব্লুপ্রিন্টের পরিবর্তন এবং পুনর্বণ্টনকে সর্বজনীনভাবে অবাধে উপলব্ধ করার সুযোগ দেয়। প্রোগ্রামিংয়ের ক্ষেত্রে ওপেন সোর্সের ভবিষ্যৎ নিঃসন্দেহে অনেক প্রোগ্রামার এবং ব্যবসার দ্বারা ব্যবহৃত হতে থাকবে। [http://www.zdnet.com/ ZDNet] দ্বারা পরিচালিত একটি জরিপে দেখা গেছে, ৭৮% কোম্পানি তাদের অনুশীলনে ওপেন সোর্স সফটওয়্যার ব্যবহারের সাথে খাপ খাইয়ে নিয়েছে। এটি একটি স্মরণীয় পদক্ষেপ কারণ ২০১০ সালে "ওপেন সোর্সের ভবিষ্যৎ" জরিপের প্রতিক্রিয়ায়, মাত্র ৪২% কোম্পানি বলেছিল যে তারা OSS ব্যবহার করে। ৯৩% বলেছেন যে গত বছর ধরে ওপেন সোর্সের ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়েছে অথবা স্থির রয়ে গেছে। বর্তমানে, ৬৪% কর্পোরেশন ওপেন সোর্স প্রকল্পে অংশগ্রহণ করে - যা ২০১৪ সালের তুলনায় ১৪% বেশি। ওপেন সোর্স প্রকল্পে কোম্পানিগুলোর সম্পৃক্ততার অদূর ভবিষ্যতের পূর্বাভাস ৮৮%-এ উন্নীত হবে বলে আশা করা হচ্ছে <ref>http://www.zdnet.com/article/its-an-open-source-world-78-percent-of-companies-run-open-source-software/</ref>
একজন প্রোগ্রামার হিসেবে ওপেন সোর্স সফটওয়্যারের ভবিষ্যৎ ইতিমধ্যেই তাদের দৈনন্দিন জীবনের অংশ। একজন আধুনিক প্রোগ্রামার হিসেবে, আপনার বর্তমান প্রকল্পগুলোর বেশিরভাগই ইতিমধ্যেই অন্যান্য প্রোগ্রামাররা তাদের বিনামূল্যে উপলব্ধ কোড Github-এর মতো ওয়েবসাইটে রেখে সম্পন্ন করেছেন। এর ফলে ব্যবহারকারীরা এই ওপেন সোর্স প্রকল্পগুলো ডাউনলোড এবং শেয়ার করতে পারবেন। <ref>https://github.com/github</ref> আজকাল প্রোগ্রামাররা ইতিমধ্যেই করা কোড পুনরায় লিখতে চান না। অদূর ভবিষ্যতে, প্রোগ্রামাররা কেবল ওপেন সোর্স কোডের কিছু অংশ নেবে এবং সেই প্রকল্পটিকে আরও অনেকের সাথে একত্রিত করে একটি চূড়ান্ত প্রকল্প তৈরি করবে। এটি বিভিন্ন দক্ষতা স্তরের প্রোগ্রামারদের এই ওপেন সোর্স প্রকল্পগুলো বুঝতে এবং বাস্তবায়ন করতে সাহায্য করে, এছাড়াও প্রোগ্রামারদের একটি প্রকল্প সম্পূর্ণ করার জন্য সময় এবং অর্থ সাশ্রয় করে।
ওপেন সোর্স সফটওয়্যারের ভবিষ্যৎ আমাদের সমাজের প্রযুক্তির অগ্রগতির উপর নাটকীয় প্রভাব ফেলবে। এর একটি উদাহরণ হতে পারে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি হেডসেট, ওকুলাস রিফট। এই হেডসেটের সম্পূর্ণ সোর্স কোড ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে জনসাধারণের জন্য প্রকাশ করা হয়েছিল। <ref>http://www.forbes.com/sites/jasonevangelho/2014/01/10/rumor-oculus-rift-will-launch-summer-2014-for-less-than-499/#fe6788046985</ref> এই হেডসেটটি সম্পূর্ণরূপে ওপেন সোর্স হওয়ার পর এই পণ্যটির অগ্রগতি অসাধারণ। ২০১৪ সালে ওকুলাস রিফটসের সোর্স কোড প্রকাশের পর এটি স্যামসাং গিয়ার ভার্চুয়াল রিয়েলিটি হেডসেটের মতো নতুন ভার্চুয়াল রিয়েলিটি হেডসেটগুলো বুঝতে এবং তৈরি করতে সহায়তা করেছে। <ref>http://www.samsung.com/uk/consumer/mobile-devices/wearables/gear/SM-R320NPWABTU</ref>
বিল গেটস ১৯৯৪ সালের পর জন্মগ্রহণকারী শিশুদের ইন্টারনেটের সাথে বেড়ে ওঠা প্রথম প্রজন্ম হিসেবে উল্লেখ করেছেন। ১০-১২ বছর বয়সী ৯০% শিশু অনলাইন গেম খেলে। <ref>https://hbr.org/2012/04/the-mobile-re-generation</ref> যেহেতু এই শিশুদের মধ্যে প্রযুক্তি তাদের জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ, তাই এখন অনেক স্কুলে প্রোগ্রামিং শেখানো হচ্ছে। শিশুদের প্রোগ্রামিং দক্ষতা বিকাশের জন্য এখন প্রোগ্রামিং ক্লাব প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। <ref>http://coderdojostirling.com/</ref> এর থেকে বোঝা যায়,প্রযুক্তির ব্যবহার বছরের পর বছর ধরে বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে ওপেন সোর্সের ব্যবহারও বৃদ্ধি পাবে। সকল বয়সের শিশুরা তাদের নিজস্ব আনন্দের জন্য প্রকল্পগুলো সম্পন্ন করার জন্য ওপেন সোর্স সফটওয়্যার ব্যবহার করে। এখন স্কুলে শিশুরা প্রোগ্রামিং শিখছে, তাই অনলাইন ইন্টারেক্টিভ প্রোগ্রামিং ক্লাসগুলো ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। <ref>https://www.codecademy.com/learn</ref> বেশিরভাগ মানুষের কাছে ইন্টারনেট সহজলভ্য হওয়ার সাথে সাথে, এই ইন্টারেক্টিভ প্রোগ্রামিং ক্লাসের ব্যবহার ক্রমশ বৃদ্ধি পাবে। এর অর্থ হলো, যত বেশি মানুষ প্রোগ্রামিং শিখবে, ওপেন সোর্সের ব্যবহার তত বাড়বে।
'ওপেন সোর্স গ্রাহক এবং ব্যবসার মধ্যে স্বাধীনতা প্রদান করে', <ref>http://open-source.gbdirect.co.uk/migration/benefit.html#flexibilityfreedom</ref> কিছু মালিকানাধীন সফটওয়্যার নমনীয় বলে দাবি করে কিন্তু নমনীয়তা সৃজনশীলতাকে বোঝায় এবং ওপেন সোর্স সফটওয়্যার ব্যবহারের মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা কোনও সীমা ছাড়াই তাদের নিজস্ব প্রয়োজনের জন্য নিজস্ব সফটওয়্যার তৈরি করতে পারে। ওপেন সোর্স সফটওয়্যার ব্যবহারকারীদের নিয়ন্ত্রণে থাকতে, তাদের নিজস্ব সিদ্ধান্ত নিতে এবং তারা যা চায় তা করতে সাহায্য করে। <ref>http://www.pcworld.com/article/209891/10_reasons_open_source_is_good_for_business.html</ref> আজকাল মানুষ জানে তারা কী চায় এবং কীভাবে তারা কাজ করতে চায়, এবং প্রযুক্তি আমাদের জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে ওঠার সাথে সাথে ওপেন সোর্স সফটওয়্যারের ব্যবহারও বৃদ্ধি পাবে।
মানুষ এমন ব্যক্তি যারা নিজের সিদ্ধান্ত নিতে এবং স্বাধীনভাবে কাজ করতে পছন্দ করে এবং ওপেন সোর্স এই ধারণাকে সম্পূর্ণরূপে সমর্থন করে। ওপেন সোর্সের ভবিষ্যৎ খুবই ইতিবাচক দেখাচ্ছে; বর্তমানে এটি ইতিমধ্যেই প্রযুক্তিগত জীবনযাত্রার একটি সমন্বিত অংশ। সাধারণত, আজকাল উৎপাদিত প্রতিটি সফটওয়্যারের উন্নয়নে ওপেন সোর্স সফটওয়্যার ব্যবহার করা হয়। বছরের পর বছর ধরে প্রযুক্তিগত অগ্রগতি ওপেন সোর্স সফটওয়্যার ব্যবহারের দ্বারা ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হয়েছে। কারণ প্রতিটি প্রোগ্রামারের হাতে বিশাল ডেভেলপার রয়েছে। এছাড়াও ১৯৯৪ সালের পরে জন্ম নেওয়া শিশুদের দৈনন্দিন জীবনে এখন প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু হয়েছে, তাদের ছোটবেলা থেকেই প্রোগ্রামিং শেখানো হচ্ছে এবং ব্যক্তিরা অনলাইনে ইন্টারেক্টিভ প্রোগ্রামিং ক্লাসেও অংশগ্রহণ করছে। প্রযুক্তির ক্রমাগত অগ্রগতি এবং ব্যবহারের সাথে সাথে এটি অনিবার্য যে সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্টের ক্ষেত্রে ওপেন সোর্স ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হবে কারণ এর অনেক সুবিধা রয়েছে। ভবিষ্যতেও ওপেন সোর্স ব্যবহার অব্যাহত থাকবে, তবে ওপেন সোর্স ইতিমধ্যেই প্রযুক্তিগত উন্নয়নের একটি সমন্বিত অংশ। '''ভবিষ্যৎ এখানেই।'''
== শব্দকোষ ==
== শব্দকোষ ==
সমস্ত শর্তাবলী ইন্টারনেট অফ এভরিথিংয়ের উপরের অধ্যায় থেকে নেওয়া হয়েছে। সমস্ত সংজ্ঞা উইকিপিডিয়া এবং অক্সফোর্ড অভিধান থেকে নেওয়া হয়েছে।
4Chan 4chan একটি ইংরেজি ভাষার ইমেজ বোর্ড ওয়েবসাইট। ব্যবহারকারীরা সাধারণত বেনামে পোস্ট করেন, সাম্প্রতিকতম পোস্টগুলি বাকিগুলির উপরে প্রদর্শিত হয়। 4chan তাদের নিজস্ব নির্দিষ্ট সামগ্রী এবং নির্দেশিকা সহ বিভিন্ন বোর্ডে বিভক্ত। রেজিস্ট্রেশনের প্রয়োজন হয় না, বা এটি সম্ভব নয় (স্টাফ ব্যতীত)।
অ্যান্ড্রয়েড একটি অপারেটিং সিস্টেমের নাম, প্রধানত ম্যাক নয় এমন ডিভাইসগুলিতে ব্যবহৃত হয়।
অনামী অ্যানোনিমাস অ্যাক্টিভিস্ট এবং হ্যাক্টিভিস্ট সত্তাগুলির একটি আলগাভাবে যুক্ত আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক। এই গোষ্ঠীর সাথে নামমাত্র যুক্ত একটি ওয়েবসাইট এটিকে "একটি ইন্টারনেট সমাবেশ" হিসাবে বর্ণনা করে "একটি খুব আলগা এবং বিকেন্দ্রীভূত কমান্ড কাঠামো যা নির্দেশের পরিবর্তে ধারণার উপর কাজ করে"
লেখক লেখার পেশা, লেখার উৎস (লেখক হিসাবে) লেখা, সঙ্গীত বা শিল্পের একটি অংশ।
ক্রিয়েটিভ কমন্স ক্রিয়েটিভ কমন্স একটি অলাভজনক সংস্থা যা বিনামূল্যে আইনি সরঞ্জামগুলির মাধ্যমে সৃজনশীলতা এবং জ্ঞান ভাগ করে নেওয়া এবং ব্যবহার সক্ষম করে।
জ্ঞানীয় লোড ওয়ার্কিং মেমরিতে ব্যবহৃত মানসিক প্রচেষ্টার পরিমাণ।
কাস্টমাইজেবিলিটি আপনাকে আপনার প্রয়োজন অনুসারে কিছু কাস্টমাইজ এবং সম্পাদনা করার অনুমতি দেওয়ার কাজ।
ডারউইন ওপেন সোর্স ইউনিক্স অপারেটিং সিস্টেম যা অ্যাপল দ্বারা নির্মিত এবং ২০০০ সালে মুক্তি পায়।
বিকেন্দ্রীকরণ একটি কেন্দ্রীয় অবস্থান বা কর্তৃপক্ষ থেকে দূরে ফাংশন, ক্ষমতা, মানুষ বা জিনিস পুনরায় বিতরণ বা ছড়িয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া।
ডিজিটাল রাইটস ম্যানেজমেন্ট (DRM) বিভিন্ন প্রাপ্যতা কন্ট্রোল প্রযুক্তি যা মালিকানাধীন হার্ডওয়্যার এবং কপিরাইটযুক্ত কাজগুলির ব্যবহার সীমাবদ্ধ করতে ব্যবহৃত হয়।
একটি নির্দিষ্ট শাসক বা সরকার দ্বারা মালিকানাধীন বা নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলের একটি এলাকা ডোমেন
গুটেনবার্গ ছাপাখানার স্রষ্টা।
হ্যাকার একজন ব্যক্তি যিনি ডেটাতে অননুমোদিত প্রাপ্যতা অর্জনের জন্য কম্পিউটার ব্যবহার করেন।
হ্যাক্টিভিজম হ্যাক্টিভিজম হ'ল রাজনৈতিক বা সামাজিকভাবে অনুপ্রাণিত উদ্দেশ্যে হ্যাকিং বা কম্পিউটার সিস্টেমে প্রবেশ করার কাজ। যে ব্যক্তি হ্যাক্টিভিজমের কাজ করে তাকে হ্যাক্টিভিস্ট বলা হয়।
হার্ডওয়্যার বস্তু যা বাস্তব। এটি আপনি শারীরিকভাবে স্পর্শ করতে এবং সরাতে পারেন। কম্পিউটার হার্ডওয়্যার স্পিকার, কীবোর্ড ইত্যাদি নিয়ে গঠিত।
ল্যাম্প একটি অ্যাব্রেভিয়েশন যা একটি কম্পিউটারের অপারেটিং সিস্টেমকে কভার করে। লিনাক্স, অ্যাপাচি, মাইএসকিউএল, পিএইচপি।
লিনাক্স সফটওয়্যারটির একটি অংশ যা ওপেন সোর্স এবং আপনাকে নিজের অপারেটিং সিস্টেমটি সম্পূর্ণ করতে এবং লিখতে সক্ষম করে। অপারেটিং সিস্টেম ইউনিক্সের ভিত্তি ব্যবহার করে।
মেমস একটি প্রযুক্তি যা তার সবচেয়ে সাধারণ আকারে ক্ষুদ্র যান্ত্রিক এবং ইলেক্ট্রো-মেকানিক্যাল উপাদান (যেমন, ডিভাইস এবং কাঠামো) হিসাবে সংজ্ঞায়িত করা যেতে পারে যা কৌশলগুলি ব্যবহার করে তৈরি করা হয় মাইক্রো ফ্যাব্রিকেশন।
মাইক্রোসফট অফিস মাইক্রোসফট অফিস সিস্টেম মাইক্রোসফট দ্বারা তৈরি কম্পিউটার প্রোগ্রামগুলির একটি সংগ্রহ। প্রোগ্রাম সব ব্যবহারকারীর জন্য তৈরি করা হয়। হোম ব্যবহারকারীদের জন্য এবং ব্যবসায়িক ব্যবহারকারীদের জন্য সফটওয়্যারটির বিভিন্ন সংস্করণ রয়েছে।
নাসা ন্যাশনাল অ্যারোনটিক্স অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন।
ই এম এর নির্মাতারা যারা নিজের নামে এবং ব্র্যান্ডিংয়ের অধীনে অন্য সংস্থার পণ্য পুনরায় বিক্রয় করে।
ওপেন অফিস একটি ওপেন সোর্স অফিস প্রোডাক্টিভিটি স্যুট। সফটওয়্যার মাইক্রোসফট উইন্ডোজ, অ্যাপল ম্যাকস এবং লিনাক্স সহ সমস্ত প্রধান অপারেটিং সিস্টেমের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
ওপেন সোর্স এমন সফটওয়্যার নির্দেশ করা যার জন্য মূল উত্স কোডটি বিনামূল্যে উপলব্ধ করা হয়েছে এবং পুনরায় বিতরণ এবং সংশোধন করা যেতে পারে।
মেরুকরণ সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে (একটি ট্রান্সভার্স তরঙ্গ, বিশেষত আলো) এর কম্পনকে এক দিকে সীমাবদ্ধ করুন।
গোপনীয়তা এমন একটি রাষ্ট্র যেখানে কেউ অন্য লোকেদের দ্বারা পর্যবেক্ষণ বা বিরক্ত হয় না।
মালিকানা সফটওয়্যার যা কোনও ব্যক্তি বা সংস্থার মালিকানাধীন (সাধারণত এটি বিকাশকারী)। এর ব্যবহারের উপর প্রায় সর্বদা বড় বিধিনিষেধ রয়েছে এবং এর উত্স কোডটি প্রায় সর্বদা গোপন রাখা হয়।
সার্ভার একটি কম্পিউটার বা কম্পিউটার প্রোগ্রাম যা একটি নেটওয়ার্কে একটি কেন্দ্রীভূত সম্পদ বা পরিষেবা প্রাপ্যতা পরিচালনা করে।
সফটওয়্যার একটি কম্পিউটার দ্বারা ব্যবহৃত প্রোগ্রাম এবং অন্যান্য অপারেটিং তথ্য।
সিস্টেম একটি প্রক্রিয়া বা একটি আন্তঃসংযোগকারী নেটওয়ার্কের অংশ হিসাবে একসাথে কাজ করা জিনিসগুলির একটি সেট; একটি জটিল সমগ্র।
টেলিটেক্সট পাঠ্য এবং গ্রাফিক্স আকারে একটি সংবাদ এবং তথ্য পরিষেবা, উপযুক্ত রিসিভার সহ টেলিভিশনগুলিতে বিদ্যমান টেলিভিশন চ্যানেলগুলির অতিরিক্ত ক্ষমতা ব্যবহার করে প্রেরণ করা হয়।
fh5sqguz8samokkvm5kyg94yvjwea26
85806
85804
2025-07-07T22:55:50Z
MS Sakib
6561
MS Sakib [[সবকিছুর জন্যেই ইন্টারনেট?/ওপেনসোর্স ও মালিকানাভিত্তিক প্রযুক্তি]] কে [[সবকিছুর জন্যেই ইন্টারনেট?/উন্মুক্ত উৎসের ও মালিকানাভিত্তিক প্রযুক্তি]] শিরোনামে স্থানান্তর করেছেন
85804
wikitext
text/x-wiki
= ওপেন সোর্স এবং মালিকানাধীন প্রযুক্তি =
== ভূমিকা ==
[[সবকিছুর জন্যেই ইন্টারনেট?|"সবকিছুর জন্যেই ইন্টারনেট?"]] উইকিবইয়ের এই অধ্যায়ে [[উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যার|উন্মুক্ত উৎসের]] এবং মালিকানাধীন প্রযুক্তির মূল ধারণাগুলো অন্বেষণ করা হবে। ১৯৭০-এর দশকে শুরু হওয়া এই দুই ধরণের সফটওয়্যারের ঐতিহাসিক বিকাশ তাদের স্রষ্টা, অবদানকারী এবং তৈরি প্রযুক্তিগত পণ্যের রেফারেন্সের সাথে পরীক্ষা করা হবে। ১৯৮০ এবং ১৯৯০ এর দশকে উন্নয়ন অব্যাহত থাকার সাথে সাথে [[হ্যাকার সংস্কৃতি|'হ্যাকারদের']] ব্যাপকতা এবং গুরুত্ব আরও প্রাসঙ্গিক হয়ে ওঠে। বিষয়কে ঘিরে নৈতিক যুক্তিগুলোও তাই। এই অধ্যায়ে দুটি বিপরীতমুখী সফটওয়্যারের পরিপ্রেক্ষিতে মেধাস্বত্ব বা [[মেধাস্বত্ব|কপিরাইট]] এবং [[ক্রিয়েটিভ কমন্স লাইসেন্স|ক্রিয়েটিভ কমন্সের]] ধারণাগুলোও বিশ্লেষণ করা হবে। দুটি ভিন্ন সফটওয়্যারের গভীর বিশ্লেষণের মাধ্যমে তাদের ক্ষমতার সুবিধা এবং অসুবিধা সম্পর্কে আলোচনা করা হবে। ওপেন সোর্স এবং মালিকানাধীন সফটওয়্যারের এই ভিত্তিগত গবেষণা ব্যবহার করে এই অধ্যায়টি দুটি সফটওয়্যারের সমসাময়িক উদাহরণ, তাদের অ্যাপ্লিকেশন এবং একই সাথে একাধিক প্ল্যাটফর্মে কাজ করার ক্ষেত্রে তাদের কার্যকারিতা সম্পর্কিত বিতর্কগুলো পর্যালোচনা করা হবে।
== উন্মুক্ত ও মালিকানাধীন সফটওয়্যারের ইতিহাস ==
একজন লেখক এবং লেখকত্বের সারমর্ম হোমার প্রবর্তন করেছিলেন। আগেরকার গল্পগুলো মুখে মুখে বলে পরিবেশিত হত। ফলে মূল দুটি গল্প কখনও হুবুহু এক হতো না। "বার্ড"দের পরিবেশিত এসব গল্পে উন্মুক্ত বাক্যাংশ ব্যবহার করে একটি গল্পের ভিত্তি তৈরি করা হতো। তবে প্রতি দুইটি গল্প একই হতো কিনা, তা এখানে নিশ্চিত করা হতো না।
হোমারই প্রথম ব্যক্তি যিনি কাগজে কলম লাগিয়ে একটি প্রতিলিপি তৈরি করেছিলেন। এর একটি প্রধান উদাহরণ হলো '[[w:ওডিসি|দ্য ওডিসি]]'। এই নতুন ধারণাটি চালু হওয়ার সাথে সাথে হোমার একটি কাল্পনিক জগতকে বৈধতা দিয়েছিলেন। একজন লেখক হওয়ার সাথে সাথেই লেখা বিতরণের চারপাশে একটি সৃজনশীল শিল্প শুরু হয়। লেখার পিছনে কেন আমাদের প্রক্রিয়া আছে এবং কীভাবে সেগুলো কাজ করে এবং বিতরণ করা হয়, সে সম্পর্কে লেখকরা গুরুত্বপূর্ণ। হোমার কপিরাইট আইন এবং রয়্যালটিগুলোতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।
হোমার প্রতিলিপি লেখার আদর্শ প্রবর্তন করার পর স্পষ্ট হয়ে ওঠে, এর কপি ছিল সীমিত। কারণ প্রতিটি কপি হাতে লিখতে হত। প্রায়ই এসব তৈরি করতে কয়েক মাস পর্যন্ত সময় লাগত। এরপর গুটেনবার্গ ১৫০০ সালের দিকে প্রথম ছাপাখানা চালু করেন। এর ফলে কপি করা দ্রুততর হয় এবং লেখকদের পাঠক সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। শেক্সপিয়র মূলত এভাবেই খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। কারণ তিনি দ্রুত ধারাবাহিকভাবে প্রচুর প্রতিলিপি তৈরি করতে সক্ষম হয়েছিলেন। তবে আধুনিক সমাজে আমরা এই যুগান্তকারী আবিষ্কারটিকে হালকাভাবে নিই। কারণ আমরা কোনও দ্বিধা ছাড়াই মূল মালিককে এর রয়্যালটি বা স্বীকৃতি না দিয়েই কোনও কাজের অনুলিপি তৈরি করতে পারি।
বিভিন্ন প্রতিলিপি প্রাপ্যতা করার দ্রুততার কারণে, একটি রেজিস্টার বাস্তবায়ন করা হয়েছিল যাতে কেবলমাত্র নির্দিষ্ট কিছু প্রত্যয়িত ছাপাখানাগুলোকে কেবল নির্দিষ্ট প্রতিলিপি মুদ্রণের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। তাদের একটি নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে মুদ্রণের অনুমতিপ্রাপ্ত সংখ্যার উপরও একটি সীমা ছিল। লেখক যাতে তাদের শ্রেষ্ঠ রচনাগুলোর জন্য খ্যাতি এবং বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করতে পারেন, সেজন্য এটি চালু করা হয়েছিল। স্পষ্টতই এটি ১৫০০ এর দশকের মধ্যে এবং তার পরেও ব্যবহৃত হয়েছিল। আজকের আধুনিক যুগে আমরা লেখকত্ব এবং রয়্যালটি সমর্থন করার জন্য ক্রমাগত কপিরাইট আইন প্রয়োগ করছি।
=== <u>১৯৮০ সালের পূর্ববর্তী</u> ===
==== ইউনিক্স ====
বলা হয় [http://www.unix.org/ ইউনিক্স] হলো কম্পিউটিংয়ের প্রযুক্তিগত অগ্রগতির সূচনা। ১৯৭০-এর দশকের গোড়ার দিকে এটি ছিল সি প্রোগ্রামিং ভাষায় লেখা প্রথম অপারেটিং সিস্টেম। এর মূল স্রষ্টা কেন থম্পসন এবং ডেনিস রিচি ছিলেন বলে বিশ্বাস করা হয়।<ref>http://www.unix.org/what_is_unix/history_timeline.html</ref> এটি ছিল প্রথম ওপেন সোর্সড অপারেটিং সিস্টেম যা যে কেউ বিনামূল্যে যোগ করতে, উন্নত করতে এবং উন্নত করতে পারত।<ref>http://www.unix.org/what_is_unix.html</ref> লিনাক্স সহ এখন পর্যন্ত বেশিরভাগ অপারেটিং সিস্টেমের ভিত্তি ইউনিক্স।
=== <u>১৯৮০–১৯৮৯</u> ===
==== ইউজনেট ====
ওপেন সোর্স এবং মালিকানাধীন প্রযুক্তির সূচনা ১৯৮০ এর দশকের আগেই শুরু হয়েছিল। কিন্তু এই সময়ের আগে খুব বেশি কিছু সহজলভ্য ছিল না। কারণ ১৯৮০ সালের আগে [https://en.usenet.nl/ ইউজনেটের] আগমন ঘটেনি। বিশ্বব্যাপী ভাগাভাগি এবং সহযোগিতার প্রথম উপায় ছিল ইউজনেট। ইউজনেট প্রকাশের সাথে সাথে এটি ওপেন সোর্স তথ্য ভাগাভাগি এবং ফাইল ভাগাভাগি উভয়েরই সূচনা করে।
==== গ্নু প্রকল্প/মুক্ত সফটওয়্যার আন্দোলন ====
ওপেন সোর্স এবং মালিকানাধীন সফটওয়্যারের পরবর্তী ঐতিহাসিক মুহূর্ত ছিল রিচার্ড স্টলম্যানের দ্বারা GNU প্রকল্পের ভূমিকা। [https://www.gnu.org/ GNU] হলো ব্যবহারকারীদের স্বাধীনতাকে সম্মান করার আরেকটি অপারেটিং সিস্টেম প্রকল্প যা বিভিন্ন ওপেন সোর্স প্রোগ্রাম দ্বারা করা হয়েছে যা GNU সফটওয়্যার নিজেই তৈরি করে না। যখন GNU তৈরি হয়েছিল, তখন [http://www.gnu.org/philosophy/free-software-intro.en.html "মুক্ত সফটওয়্যার আন্দোলন"] শুরু হয়েছিল। মুক্ত সফটওয়্যার আন্দোলনের ধারণা হলো কম্পিউটার ব্যবহারকারীদের একটি সম্প্রদায় গঠনের স্বাধীনতা প্রাপ্য।
==== ৩৮৬বিএসডি ====
১৯৮০-এর দশকের শেষের দিকে [http://www.386bsd.org/ 386BSD-এর] কাজ শুরু হয়। ৩৮৬বিএসডি "জোলিক্স" নামেও পরিচিত। এটি ইউনিক্স থেকে আসা আরেকটি বিনামূল্যের অপারেটিং সিস্টেম। এটি ঐতিহাসিক মুহূর্তগুলোর আরেকটি অগ্রগতি কারণ এটি পরবর্তীতে FreeBSD এবং NetBSD-এর দিকে পরিচালিত করে।
=== <u>১৯৯০-১৯৯৯</u> ===
==== লিনাক্স ====
এই দশকটি ওপেন সোর্স এবং মালিকানাধীন সফটওয়্যারকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করেছে। অগ্রগতির পাশাপাশি, ১৯৯১ সালে লিনাস টরভাল্ডস লিনাক্স তৈরির সিদ্ধান্ত নেন। এটি GNU অপারেটিং সিস্টেমের উপর অগ্রসর হয়, যাতে একটি সম্পূর্ণ বিনামূল্যের এবং ওপেন সোর্স অপারেটিং সিস্টেম প্রদান করা যায়। লিনাক্সের প্রতিষ্ঠাতা ইউনিক্সের নিজস্ব সংস্করণ তৈরি করেছিলেন। তিনি নিজের অপারেটিং সিস্টেম তৈরি করতে চেয়েছিলেন, তবে আপনি কল্পনা করতে পারেন যে দশ মিলিয়ন লাইন কোড লিখতে কতটা সময় লাগবে, তাই তিনি ইন্টারনেটে তার দৃষ্টিভঙ্গি ভাগ করে নেন এবং ফলস্বরূপ অনেক কম্পিউটার উৎসাহী এতে যোগ দেন। মূলত এটি ছিল একটি কম্পিউটিং সিস্টেম যা যে কেউ তৈরি এবং ব্যবহার করতে সক্ষম। অপারেটিং সিস্টেমটিকে একই সাথে বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম এবং মাল্টিমিডিয়ামে সংহত করা একটি চ্যালেঞ্জ ছিল। যাইহোক, একবার কার্নেল, অপারেটিং সিস্টেমের ভিত্তি তৈরি হয়ে গেলে, বাকিগুলো পালাক্রমে অনুসরণ করা হয়।
==== লাল টুপি ====
১৯৯৩ সালে [https://www.redhat.com/en/open-source রেড হ্যাটের] প্রতিষ্ঠা ঘটে। রেড হ্যাট একটি লিনাক্স ডিস্ট্রিবিউশন ভিত্তিক কোম্পানি। এটি প্রমাণ করে যে ওপেন সোর্স সফটওয়্যার অত্যন্ত লাভজনক হতে পারে। তারা তাদের নীতিবাক্য পূরণ করার চেষ্টা করে:<div align="center">
<small>"প্রতিটি সমাধান শুরু হয় সমস্যা ভাগ করে নেওয়ার মাধ্যমে। প্রযুক্তি উন্মুক্তভাবে সমৃদ্ধ হয়, যেখানে মানুষ তাদের ধারণা ভাগ করে নেওয়ার এবং অন্যদের কাজের উপর ভিত্তি করে গড়ে তোলার জন্য স্বাধীন।"</small>
<small>"সৃষ্টি সর্বদা সহযোগিতার একটি কাজ" </small>
</div>
==== MySQL/Java 1.0 ====
১৯৯৫ সালে [https://www.mysql.com/ মাইএসকিউএল] এবং প্রথম [https://java.com/en/ জাভা] সোর্স প্রোগ্রামিং ভাষা উভয়ই প্রকাশিত হয়েছিল। মাইএসকিউএল হলো একটি ওপেন-সোর্স রিলেশনাল ডাটাবেস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম যা ISAM ভাষার উপর ভিত্তি করে তৈরি। জাভা ১.০ এর প্রথম পাবলিক রিলিজটিও ১৯৯৫ সালে [https://www.oracle.com/sun/index.html?PHPSESSID=8fd76773d26875481e097a4a27c7a6a1 সান মাইক্রোসিস্টেমস] দ্বারা প্রকাশিত হয়েছিল। ২০০৬ সালে OpenJDK চালু হওয়ার পর সান মাইক্রোসিস্টেম সমস্ত জাভা প্যাকেজ ওপেন সোর্সড প্রোগ্রাম তৈরি করে।<div align="center">
<small>জাভা ১.০ প্রতিশ্রুতি দিয়েছে "একবার লিখুন, যেকোনো জায়গায় চালান</small>
</div>
==== অ্যাপাচি ====
পরবর্তীতে দশকের শেষের দিকে আমরা [https://httpd.apache.org/ অ্যাপাচি প্রকাশের মাধ্যমে আরও অগ্রগতি দেখতে পাই।] অগ্রগতি স্থবির হয়ে পড়ার পর NCSA HTTPd সার্ভারগুলোতে সম্প্রসারণের প্রয়াসে Apache-র উ[প্র ভিত্তি তৈরি করা হয়েছিল Apache হলো একটি অবাধে উপলব্ধ ওয়েব সার্ভার। এটি একটি ওপেন সোর্স লাইসেন্সের অধীনে বিতরণ করা হয়।
==== নেটস্কেপ ====
১৯৯৮ সালে [http://isp.netscape.com/ নেটস্কেপ] তাদের ওয়েব ব্রাউজার ওপেন সোর্স করে দেয়। মজিলা হলোনেটস্কেপের তৈরি একটি মুক্ত সফটওয়্যার সম্প্রদায়। এটি ওপেন সোর্সড হওয়ার ফলে ব্যবহারকারীরা পণ্যটি ব্যবহার, বিকাশ এবং প্রসারের সুযোগ পান। <ref>https://www.mozilla.org/en-GB/</ref> এরপর মজিলা [https://www.mozilla.org/en-GB/about/ মজিলা ফায়ারফক্স] তৈরি করে।এটি আজও একটি সুপরিচিত ওয়েব ব্রাউজার।
==== ল্যাম্প ====
LAMP এর বেশিরভাগ ধারণা নিম্নরূপ।
<u>(L) লিনাক্স -</u> অপারেটিং সিস্টেম যা পুরো প্রক্রিয়াটিকে সমর্থন করে।
<u>(A) অ্যাপাচি</u> - অ্যাপাচি হলো একটি ওয়েব সার্ভার। এটি আপনাকে আপনার প্রয়োজনীয় তথ্য অর্জনের জন্য সিস্টেমের সাথে কীভাবে যোগাযোগ করতে হবে তা বলে। এটি একটি গ্রাফিক্যাল ইউজার ইন্টারফেসের (GUI) অনুরূপ। এটি সার্ভারগুলোকে একে অপরের সাথে কীভাবে ইন্টারঅ্যাক্ট করতে হয় তাও বলে।
<u>MySQL বা মাইএসকিউএল</u> হলো ডাটাবেজ। এখানেই সমস্ত তথ্য সংরক্ষণ করা হয় এবং ব্যবহারকারীর কাছে উপস্থাপন করার জন্য পুনরুদ্ধার করা হয়।
<u>PHP</u> - PHP হলো ব্যবহারকারীর কাছে সিস্টেমের সামগ্রিক সরবরাহ/ যেমন একটি মনিটর, স্পিকার এবং VDU। এটি ব্যবহারকারীকে সামগ্রিক অভিজ্ঞতা প্রদান করে।
কম্পিউটার ব্যবহারের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সবকিছুই ওপেন সোর্স সফটওয়্যারের মাধ্যমে করা হয়।
=== <u>২০০০-২০১০</u> ===
==== ওপেনঅফিস ====
২০০০-এর দশকেও ওপেন সোর্সড এবং মালিকানাধীন সফটওয়্যারের অগ্রগতি অসাধারণ ছিল। ২০০১ সালে ওপেনঅফিস প্রথম প্রকাশিত হয় যা পরবর্তীতে [https://www.openoffice.org/ অ্যাপাচি ওপেনঅফিস], [https://www.libreoffice.org/ লিব্রেঅফিস] ([https://www.openoffice.org/ Apache OpenOffice], [https://www.libreoffice.org/ LibreOffice]) এবং ওরাকল ওপেনঅফিসে শাখাভুক্ত হয় (এটিই একমাত্র ক্লোজড সোর্স যা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল)। ওপেনঅফিস ছিল একটি উন্মুক্ত উৎসের অফিস স্যুট প্রোগ্রাম যা মাইক্রোসফট অফিসের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে।
==== উবুন্টু ====
২০০৪ সালের মধ্যেই ডেবিয়ান-ভিত্তিক লিনাক্স ডিস্ট্রিবিউশন [http://www.ubuntu.com/ উবুন্টু] মুক্তি পায়। "উবুন্টু একটি ওপেন সোর্স সফটওয়্যার প্ল্যাটফর্ম। এটি স্মার্টফোন, ট্যাবলেট এবং পিসি থেকে শুরু করে সার্ভার এবং ক্লাউড সর্বত্র চলে।" উবুন্টুর লোগো প্রতীকটি "বন্ধুদের বৃত্ত" প্রতিনিধিত্ব করে। এটি ওপেন সোর্স সফটওয়্যারের সাথে সহযোগিতা প্রদর্শন করে। এটি একটি অত্যন্ত ঐতিহাসিক মুহূর্ত। কারণ এখন উবুন্টুর ২৪টিরও বেশি অফিসিয়াল রিলিজ থাকার পাশাপাশি অনেক অনানুষ্ঠানিক ভার্সনও রয়েছে।
==== গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ ====
এই আলোচনায় চারজন প্রভাবশালী কম্পিউটিং প্রতিভার কথা উল্লেখ করাও গুরুত্বপূর্ণ। তারা তাদের আবিষ্কারের মাধ্যমে বিশ্বকে মুগ্ধ করেছিলেন। ১৯৪৫ সালে স্নায়ুযুদ্ধের প্রাক্কালে <u>বুশ</u> মাইক্রো ফিল্ম ব্যবহার করে প্রথম কম্পিউটার চালু করেন। তিনি বিশ্বাস করতেন যে সকলেরই বিশ্ব জ্ঞানে প্রবেশাধিকার থাকা উচিত। এটি ছিল একটি অত্যন্ত কাল্পনিক পদ্ধতি। বুশ আর্থিক মূল্যের জন্য এই ক্ষেত্রটি অনুসরণ করেননি। বরং তিনি বিশ্বাস করতেন,প্রত্যেকেরই তথ্যের প্রাপ্যযোগ্যতা থাকা উচিত। এনিগমায় তার কাজের জন্য কুখ্যাত <u>টুরিং</u> এমন একটি যন্ত্র তৈরি করেছিলেন যা যেকোনো কিছু গণনা করতে সক্ষম ছিল। তথ্য ইনপুট করার এবং দ্রুত ধারাবাহিকভাবে কম্পিউটিং কোডের মাধ্যমে যন্ত্রের বোধগম্য ভাষাতে রূপান্তর করার সুযোগ পাওয়া যায়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় টুরিং সরকারি কোড এবং সাইবার স্কুলে কাজ করেছিলেন। টুরিংকে একটি দল বরাদ্দ করা হয়েছিল যেখানে তিনি জার্মান নৌ ক্রিপ্ট বিশ্লেষণের দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন। <u>এঙ্গেলবার্ট</u> যুক্তরাজ্যের অন্ধকার প্রধান প্রতিরক্ষার জন্য কাজ করেছিলেন। তিনি দৈত্যদের কাঁধে দাঁড়ানোর উপর বিশ্বাস করতেন এবং বুশ এবং টুরিংয়ের তৈরি পূর্ববর্তী কাজগুলো ব্যবহার করতেন। রিনি অনেক দুর্দান্ত জিনিস অর্জনের জন্য এটিকে প্রসারিত করেছিলেন। সকল ডেমোর জননী ১৯৬৯। তবে অন্য তিনজনের তুলনায় <u>নেলসন</u> ছিলেন খুবই রহস্যময়। নেলসন হাইপারটেক্সট, HTTP এবং মূলত ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব (www) তৈরিতে সহায়তা করেছিলেন। তিনি জানাডু নামে পরিচিত একটি প্রোগ্রামও তৈরি করেছিলেন। ধারণা করা হয়েছিল এটি ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবের চেয়ে বেশি দক্ষ হবে। তবে আগের তিনজনের বিপরীতে নেলসন ধারণাটি পেটেন্ট করতে এবং ফ্র্যাঞ্চাইজির মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে চেয়েছিলেন। দুর্ভাগ্যবশত নেলসনের ক্ষেত্রে এটি কাজ করেনি। শীঘ্রই ধারণাটি ব্যর্থ হয়ে যায়। এই সংক্ষিপ্ত ইতিহাস জুড়ে একটি মূল বিষয়বস্তু হলো সামরিক বাহিনীর সাথে সম্পর্ক এবং যোগাযোগ। যদি সামরিক বাহিনী এবং সম্ভবত বিশ্বযুদ্ধ না থাকত, তাহলে আমরা আজ উন্নয়নের ডিজিটাল জগতে যেখানে আছি সেখানে হয়তো থাকতাম না। এমনকি আইপি ইন্টারনেট প্রোটোকলও সামরিক বাহিনী থেকেই এসেছে/ তবে একটি বিষয় নিশ্চিত, আসলে ডিজিটাল প্রযুক্তি খুবই রাজনৈতিক।
== হ্যাকার নীতি ==
=== হ্যাকারের বিবর্তন: অতীত ও বর্তমান ===
"হ্যাকার" শব্দটির সাধারণ অর্থ বিভিন্ন প্রজন্মের কাছে ভিন্ন ভিন্ন। লেভি (১৯৬৮) বলেছেন, কম্পিউটার বিজ্ঞান জগতের লোকেরা "এই শব্দটিকে উপহাসের একটি রূপ হিসেবে ব্যবহার করত। এর অর্থ হ্যাকাররা হয় অলস সামাজিকভাবে বহিষ্কৃত অথবা "অপেশাদার" প্রোগ্রামার, যারা নোংরা "অমানবিক" কম্পিউটার কোড লিখেছিল"।<ref>Levy, Steven. 1986 ''Hackers: - Heroes of the Computer Revolution''</ref> লেভি হ্যাকার কী তা বর্ণনা করেছেন। তার তুলনায় ডগলাস (২০০২) হ্যাকারদের বর্ণনা করেছেন "একটি সংস্কৃতি হিসেবে, কম্পিউটার উৎসাহীদের একটি দল যারা এমন একটি জায়গা এবং পদ্ধতিতে কাজ করে যা সঠিকভাবে কীভাবে কাজ করে তা জানার জন্য সীমাহীন কৌতূহলের অনুভূতি দ্বারা সংজ্ঞায়িত করা যেতে পারে। তবে এই জ্ঞানকে আরও বিস্তৃত সাংস্কৃতিক ধারণা দ্বারা সংজ্ঞায়িত করা হয়"। <ref>Levy, Steven. 1986 ''Hackers: - Heroes of the Computer Revolution''</ref> আবার দুটি ভিন্ন প্রজন্ম হ্যাকার কী তা বিশ্বাস করে তার দুটি ভিন্ন সংজ্ঞা দেয়। হ্যাকিংয়ের এই ইতিহাসটি একটি জটিল কিন্তু আকর্ষণীয় ক্ষেত্র। কারণ একবিংশ শতাব্দীতে আমরা হ্যাকিংকে একটি অপরাধ হিসেবে জানি। কিন্তু আজকের বিশ্বে অগ্রগতির জন্যেই এটি ব্যবহার করা হয়েছিল। আবার লেভি (২০১৬) উদ্ধৃত করেছেন, "এটি ছিল ভাগাভাগি, উন্মুক্ততা, [[বিকেন্দ্রীকরণ]] এবং যেকোনো মূল্যে মেশিনের উন্নতি এবং বিশ্বকে উন্নত করার জন্য মেশিন হাতে পাওয়ার একটি দর্শন"। এই দর্শন বা নীতিশাস্ত্র তাদের সংস্কৃতির জন্য উপহার ছিল; এমন কিছু যা আমাদের মধ্যে যাদের কম্পিউটারে মোটেও আগ্রহ নেই তাদের জন্যও মূল্যবান। হ্যাকিংয়ের বিবর্তন দেখতে পাওয়া যায় যদি কেউ হ্যাকিংয়ের এই গতিবিধিটি অধ্যয়ন করে যা বর্তমানে "অজ্ঞাত" নামে পরিচিত। কারণ এই আন্দোলনটি শুরু হয়েছিল সহজ ট্রোলিং, অপ্রীতিকর উপাদান ভাগ করে নেওয়া এবং [[ফোরচান|4chan]] ওয়েবসাইটে "মিমস" এর মতো অদ্ভুত নতুন ইন্টারনেট অভিব্যক্তি তৈরির মাধ্যমে। হ্যাকাররা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির এই পটভূমি থেকে এসেছে এবং এটিকে "হ্যাকটিভিজম"-এ রূপান্তরিত করেছে। এটি কোনও উদ্দেশ্যকে সমর্থন, অসম্মান বা ব্যাহত করার সরাসরি উদ্দেশ্য নিয়ে হ্যাকিং। এই "অজ্ঞাত" ভাবে তৈরি করেছে। এগুলো হ্যাকিং বিবর্তনের একটি সহজ ফসল এবং অনেকেই ইতিবাচক হিসেবে দেখবেন এমন কাজ করেছে। যেমন [[কু ক্লাক্স ক্লান|কু ক্লাক্স ক্ল্যানের]] সদস্যদের উন্মোচন করা।
=== সৃজনশীল বনাম অপরাধী ===
কম্পিউটারের প্রাথমিক যুগের সাথে সাথে উন্নতির জন্য সর্বদাই জায়গা ছিল। প্রতি বছর বিভিন্ন হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যার দিয়ে কম্পিউটার আপগ্রেড করা হচ্ছে। এক অর্থে হ্যাকাররা সবসময়ই বোঝাপড়ার জন্য চেষ্টা করত। কিন্তু এগিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে তারা সফটওয়্যারও আপগ্রেড করছিল। অ্যালবার্টস এবং ওল্ডেনজিয়েল (২০১৪) এর বর্ণনা অনুযায়ী হ্যাকার ছিলেন একজন ব্যক্তি "যিনি ইচ্ছাকৃতভাবে বাইরের ব্যক্তির ভূমিকা বেছে নেন, জটিলতাগুলো আয়ত্ত করতে হয়, তালা ভাঙতে হয় এবং বহিষ্কারকে অনুপ্রবেশের মাধ্যমে মোকাবেলা করতে হয়"। তারা আরও ব্যাখ্যা করে, হ্যাকাররা "কোনও ক্ষতি না করার জন্য" অনুপ্রবেশের একটি ছাপ রেখে যেতে চেয়েছিল। বিশ্বজুড়ে হ্যাকার সংস্কৃতিকে ভিন্নভাবে দেখা হয়। অনেক দেশ এই সংস্কৃতিকে বিভিন্ন রূপে ব্যবহার করে। উদাহরণস্বরূপ, যুগোস্লাভ কিশোর-কিশোরী এবং ছাত্ররা পার্টি ও সঙ্গীতের উপসংস্কৃতির অংশ হিসেবে কম্পিউটার "ঝাঁকুনি" দিত। অন্যদিকে ফিনিশ গণতন্ত্রগুলো এটিকে "উদীয়মান প্রোগ্রামারদের তাদের কাজ দেখানোর জন্য" "অনুষ্ঠানের আচার" হিসেবে ব্যবহার করত। অন্যদিকে [[Wau holland|"ওয়াউ হল্যান্ড"]] নামে একজন জার্মান হ্যাকারের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক কার্যকলাপের অভিযোগ আনা হয়েছিল। এর মাধ্যমে তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে একটি ব্যাংকের নিরাপত্তা ত্রুটিগুলো দেখানোর জন্য হ্যাক করেছিলেন। তারা যে সিস্টেমটি হ্যাক করছিল তা ছিল একটি নতুন সিস্টেম যা ব্যাংকটি একটি ইন্টারেক্টিভ টেলিটেক্সট সিস্টেম ( [[Btx (form factor)|Btx]] ) স্থাপন করেছিল। এর প্রধান নিরাপত্তা ত্রুটি ছিল। হ্যাকাররা পাসওয়ার্ডগুলো হেরফের করতে এবং ট্র্যাক করতে সক্ষম হয়েছিল। এই কাজ করে হল্যান্ড এবং তার সহযোগী এক রাতে তাদের অ্যাকাউন্টে €১৩৫,০০০ ট্রান্সফার করতে সক্ষম হন। তাদের ব্যাংক হ্যাক করার চার বছর পর ওয়ার্নারিকে আরও কম্পিউটার অপরাধের জন্য ফ্রান্সে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। ১৯৮৬/৮৭ সালে [[নাসা|নাসার]] মতো সরকারি কর্তৃপক্ষ এবং গবেষণা সংস্থাগুলোর ব্যবহৃত VAX কম্পিউটারগুলোতে একটি বাগ আবিষ্কার করে হ্যাকাররা এই কম্পিউটারগুলোতে প্রাপ্যতা পেতে সক্ষম হয়। এরপর তার বিরুদ্ধে ১০০টি কম্পিউটার থেকে ডেটা প্রাপ্যতা, কপি এবং ধ্বংস করার অভিযোগ আনা হয়। হ্যাকিং জগতের অপরাধমূলক দিকের আরেকটি উদাহরণ হতে পারে ১৯৯০ সালের AT&amp;T-এর দূরপাল্লার টেলিফোন সুইচিং সিস্টেমটি ক্র্যাশ করার ঘটনা। স্টার্লিং (১৯৯৪) ব্যাখ্যা করেছেন, এই দুর্ঘটনার সময় ৬০,০০০ মানুষ নয় ঘন্টার জন্য টেলিফোন পরিষেবা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল। এটি শুরু হয়েছিল কারণ ম্যানহাটনের একটি সুইচিং-স্টেশন AT&T-এর নিজস্ব সিস্টেমে পাওয়া একটি বাগের কারণে ক্র্যাশ হয়ে গিয়েছিল।
=== কম্পিউটার/হ্যাকিং নীতিশাস্ত্রের গঠন ===
হ্যাকিংয়ের ক্ষেত্রে আমরা জানি যে মানুষ বিভিন্ন কারণে এটি করে। ভালো হোক বা খারাপ, তুলনা করার মতো কোনও মধ্যম ক্ষেত্র নেই। টেলর (১৯৯৯:১৩৬) যা বর্ণনা করেছেন যে "হ্যাকিংয়ের নৈতিক জটিলতার মুখোমুখি হলে, তারা এবং আমাদের পরিস্থিতির মেরুকৃত অবস্থানের মধ্যে থাকা নৈতিক নিশ্চিততাগুলো গ্রহণ করার প্রলোভন দেখা দেয়"। গত দশকে প্রযুক্তির অগ্রগতির সাথে সাথে, এটি হ্যাকিং প্রজন্মকে তাদের নিজস্ব জ্ঞান, নতুন হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যার উন্নত করার জন্য বিভিন্ন খেলার মাঠ উপহার দিয়েছে। হ্যাকিং সম্ভব করার অন্যতম প্রধান কারণ হলো গোপনীয়তার সমসাময়িক সংস্কৃতি যা সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং অর্থনৈতিক মিথস্ক্রিয়ার একটি বৃহৎ অংশকে নিয়ন্ত্রণ করে। গোপনীয়তার কারণে হ্যাকাররা বিচ্ছিন্ন বোধ করে। কিন্তু সুবিধাও পায়। আমরা জানি হ্যাকাররা গোপনীয়তার বিরোধিতা করে, তারা নিজেদের বিরোধিতা করে, তারা যে পদ্ধতি বা পদ্ধতিটি পরিচালনা করে তা কাজে লাগিয়ে, প্রযুক্তি এবং সমসাময়িক সংস্কৃতির সাথে তাদের অবস্থানকে জটিল করে তোলে। ডগলাস (২০০২:১১৫) ব্যাখ্যা করেন যে হ্যাকিংয়ের প্রাথমিক প্রজন্মে, ধারণা, তথ্য ভাগাভাগি করার পাশাপাশি প্রযুক্তি প্রাপ্যতাের জন্য সম্প্রদায়গুলোর উপর প্রচুর নির্ভর করা হত। ১৯৫০/৬০ এর দশকে, সম্প্রদায়গুলো এমআইটি, হার্ভার্ড, কর্নেল এবং আরও কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবগুলোকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছিল। <ref>Douglas, Thomas 2002 ''Hacking Culture''</ref>
টেলর আরও বলেন,"হ্যাকাররা এমন বাচ্চাদের মতো যারা রেললাইনে দশ পেন্সের টুকরো রেখে দেখে যে এটি বাঁকছে কিনা। কিন্তু তারা বুঝতে পারে না যে তারা পুরো ট্রেনটি রেলিং থেকে নামিয়ে দেওয়ার ঝুঁকি নিচ্ছে"। হ্যাকারদের কীভাবে উপস্থাপন করা হয় তা দেখার একটি ভালো উপায় হলো "মিস্টার রোবট"। এটি এমন একটি প্রোগ্রাম যেখানে একদল হ্যাকার একটি বহুজাতিক কর্পোরেশনকে আক্রমণ করে বিশ্বকে ঋণমুক্ত করতে বদ্ধপরিকর। টেলর (১৯৯৯) উল্লেখ করেছেন,ব্যবসায়িক নীতিশাস্ত্রের একটি গবেষণার সময়, এমন কিছু বিষয় উঠে এসেছে যা দেখায় যে শিল্পের মধ্যে নীতিগত সিদ্ধান্তগুলো আরও কঠিন এবং বয়স্ক জনগোষ্ঠীর কাছ থেকে আসার প্রবণতা রয়েছে। কম্পিউটার শিল্পের সদস্যরা সাধারণত সাধারণ হ্যাকারদের তুলনায় বয়স্ক হন এবং কম্পিউটারকে তাদের দৈনন্দিন জীবনের একটি হাতিয়ার হিসেবে দেখেন, অন্যদিকে হ্যাকাররা কম্পিউটারকে একটি শখ হিসেবে দেখেন। এই বয়সের পার্থক্য সম্ভবত একটি কারণ যার জন্য নিরাপত্তা শিল্প এবং গোপন কম্পিউটারের সদস্যদের নীতিগত দৃষ্টিভঙ্গিতে মৌলিক পার্থক্য রয়েছে।
==== 'অলিখিত আইন' ====
অনেক কম্পিউটার ভক্ত এমন একটি কাঠামো অনুসরণ করেন যাকে অনেকে হ্যাকারদের বাইবেল বলে। এটি এমন কিছু অলিখিত নিয়মে। তারা বিশ্বাস করে এভাবেই সফটওয়্যার লেখা এবং সরবরাহ করা উচিত। তারা সেই অনুযায়ী আরও উন্মুক্ত এবং উদার কিছু পরিবর্তন করতে চায়। এটি মূলত সফটওয়্যারের সহজলভ্যতা এবং এটি ব্যবহার করতে ইচ্ছুক সকলের কাছে এর সহজলভ্যতার সাথে সম্পর্কিত। সকল তথ্য বিনামূল্যে থাকা উচিত। কর্তৃপক্ষের উপর অবিশ্বাস করুন, বিকেন্দ্রীকরণকে উৎসাহিত করুন। দ্বিতীয়ত এই ধারণাটি উপস্থাপন করে যে, বিশ্বজুড়ে বা এমনকি বিভিন্ন দেশে একাধিক সার্ভার থাকা উচিত। সেগুলোতে একই তথ্য জমা থাকবে, যাতে অন্য কোনও সফটওয়্যার এবং/অথবা প্রোগ্রাম ব্যর্থ হলে আপনি সর্বদা প্রাপ্যতা পেতে পারেন। একাধিক সার্ভার থাকার ফলে বৃহত্তর শ্রোতা তৈরি হবে। এর ফলে প্রোগ্রামগুলোতে সবার প্রাপ্যতা থাকার পাশাপাশি কর্মক্ষমতাও উন্নত মানের হবে। হ্যাকারদের বিচার করা উচিত তাদের হ্যাকিং দিয়ে; কোনো ডিগ্রি, বয়স, জাতি বা পদের মতো ভুয়া মানদণ্ড দিয়ে নয়। আমি বিশ্বাস করি এটি বিশেষ করে আধুনিক যুগ এবং সমাজের সাথে গভীরভাবে সম্পর্কিত যেখানে জীবনের সকল ক্ষেত্রেই সমতার জন্য লড়াই অব্যাহত রয়েছে। বিশেষ করে আজকের ডিজিটাল জগতে এমন অনেক তরুণ আছেন যারা অসাধারণ কোডিং তৈরি করতে সক্ষম যা একটি IOS সিস্টেমের মধ্যে একত্রিত করা যেতে পারে। এগুলো বিভিন্ন মাল্টি মিডিয়ামে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে পারে। আপনি কম্পিউটারে শিল্প ও সৌন্দর্য তৈরি করতে পারেন। এটি কম্পিউটিং জগতের সকল মাত্রার জন্য দায়ী, তা ডিজিটাল শিল্প, প্রোগ্রামিং, চলচ্চিত্র নির্মাণ হোক... তালিকাটি অন্তহীন। বলা বাহুল্য, সবই শিল্পের উপাদান। এগুলোকে হালকাভাবে নেওয়া উচিত নয়। কম্পিউটার জীবনকে আরও ভালোর দিকে বদলে দেয়। প্রযুক্তি ক্রমাগত বিকশিত হচ্ছে এবং উন্নতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা এখন বধির এবং অন্ধদের জন্য এমন ব্যবস্থা তৈরি করতে সক্ষম হয়েছি যা মিথস্ক্রিয়া এবং যোগাযোগের পাশাপাশি আরও অনেক কিছুতে সহায়তা করে যা অসংখ্য ব্যক্তি এবং পরিবারকে সহায়তা করে।
== ক্রিয়েটিভ কমন্স বনাম কপিরাইট ==
=== ক্রিয়েটিভ কমন্স কী? ===
২০০১ সালে লরেন্স লেসিগ, হাল অ্যাবেলসন এবং এরিক ইল্ড্রেড অলাভজনক সংস্থা '''ক্রিয়েটিভ কমন্স (CC)''' প্রতিষ্ঠা করেন। এটি অন্যদের জন্য উপলব্ধ সৃজনশীল কাজ বাড়ানোর জন্য চেষ্টা করছে। এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা আইনগতভাবে ভিত্তি করে তৈরি করতে এবং অন্যদের সাথে ভাগ করতে পারেন। ক্রিয়েটিভ কমন্স লাইসেন্সগুলি জনসাধারণের জন্য বিনামূল্যে প্রকাশিত হয়। ক্রিয়েটিভ কমন্স সম্পর্কিত প্রথম নিবন্ধটি একটি সাধারণ আগ্রহের প্রকাশনায় হাল প্লপকিনের “All Hail Creative Commons Stanford professor and author Lawrence Lessig plans a legal insurrection” (২০০২)-এ প্রকাশিত হয়। ২০০৪ সালের নভেম্বর পর্যন্ত প্রায় ৮৮০ মিলিয়ন কাজ ক্রিয়েটিভ কমন্স লাইসেন্সের আওতায় লাইসেন্সপ্রাপ্ত।<ref>[https://creativecommons.org/licenses] , About the Licenses – Creative Commons.</ref>
'''ক্রিয়েটিভ কমন্সের বিভিন্ন দিক'''
ক্রিয়েটিভ কমন্সের অনেক ধরণের আছে, যেগুলো আপনাকে বিভিন্ন উপায়ে একটি কাজ ব্যবহার করার সুযোগ দেয়। এটি ব্যক্তির লাইসেন্সের উপর নির্ভর করে। কারণ প্রতিটি কাজের সাথে আপনি কী করতে পারবেন এবং কী করতে পারবেন না তার নিয়ম রয়েছে। নিচে কয়েকটি তালিকাভুক্ত উদাহরণ দেওয়া হলো। মূলত স্কেল শর্তাবলী প্রদান করে, আপনি বিভিন্ন উপায়ে কিছু পুনঃব্যবহার করতে পারেন, সাধারণত এটি শর্তাবলীতে বর্ণিত থাকে। এটি ছোট মুদ্রণ নামেও পরিচিত।
'''পাবলিক ডোমেইন'''
পাবলিক ডোমেইন শব্দটি এমন সৃজনশীল উপকরণগুলোকে বোঝাতে ব্যবহৃত হয় যা সম্পত্তি আইন, কপিরাইট, ট্রেডমার্ক বা পেটেন্ট আইন দ্বারা সুরক্ষিত নয়। এই কাজগুলোর মালিক 'জনসাধারণ', কোনও একক ব্যক্তি নন। পাবলিক ডোমেইন উপকরণ ব্যবহারের জন্য অনুমতির প্রয়োজন নেই কারণ কেউ কখনও উপকরণের অধিকার দাবি করতে পারে না। <ref>[http://fairuse.stanford.edu/overview/public-domain/welcome/] , Copyright & Fair Use – Stanford University Libraries.</ref>
চারটি সাধারণ সম্ভাবনা রয়েছে যা উপকরণ বা পণ্যগুলোকে পাবলিক ডোমেইন করতে পারে: <ref>[http://fairuse.stanford.edu/overview/public-domain/welcome/] , Copyright & Fair Use – Stanford University Libraries (Extended).</ref>
* কপিরাইট মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে।
* কপিরাইট মালিক কপিরাইট নবায়ন নিয়মের পদ্ধতি সঠিকভাবে অনুসরণ করেননি।
* কপিরাইট মালিক ইচ্ছাকৃতভাবে একটি উপাদান বা পণ্য পাবলিক ডোমেইনে রাখেন।
* কপিরাইট আইন এই বিশেষ ধরণের উপাদানকে রক্ষা করতে পারে না।
কপিরাইট জনসাধারণের জন্য, যাতে তারা সফটওয়্যারটি ব্যবহার করতে পারে, কাজের অংশ... ইত্যাদি, যেমনটা তারা চায়। এর অর্থ হলো তারা এটি সম্পাদনা করতে এবং তাদের ইচ্ছামতো পুনরায় ব্যবহার করতে সক্ষম। এর একটি গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ হলো ওয়াল্ট ডিজনির মিকি মাউসের সৃষ্টি। মিকি মাউসের গ্রাফিক্স এবং ধারণাটি পাবলিক ডোমেইনে রয়েছে, অর্থাৎ বিবিসির মতো অন্যান্য সংস্থাগুলো যদি ইচ্ছা করে তবে এই ধারণাটি একটি স্কেচে ব্যবহার করতে পারে। এর মানে হলো, যদিও আমরা মিকি মাউসকে একটি কার্টুন শিশু ক্লাসিক হিসেবে যুক্ত করেছি, আমরা তাকে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের একটি স্কেচে দেখতে পাচ্ছি।
=== By ===
"By" আপনাকে একটি কাজকে আপনি যেভাবে চান তেমন করে রিমিক্স, সম্পাদনা এবং বিতরণ করার অনুমতি দেয়। তবে, আপনাকে বিবেচনা করতে হবে কাজটি কোথা থেকে এসেছে এবং মূল সৃষ্টিকারীর গুরুত্বকে স্বীকৃতি দিতে হবে।
'''অ্যাট্রিবিউশন'''
CC BY Attribution অন্যদের এমন কাজ বিতরণ, সম্পাদনা এবং যোগ করার সুযোগ দেয় যা ইতিমধ্যেই তৈরি করা হয়েছে, যতক্ষণ না তারা মূল লেখককে কৃতিত্ব দেয়। মূলত এটি সবচেয়ে সুবিধাজনক লাইসেন্স। এটি আপনাকে আপনার প্রয়োজন অনুসারে নিবন্ধটি তৈরি করতে সক্ষম করে।
'''অ্যাট্রিবিউশন-শেয়ারঅ্যালাইক'''
CC BY-SA এই লাইসেন্সটি আপনাকে অ্যাট্রিবিউশন লাইসেন্সিংয়ের মতোই কাজ করার সুযোগ দেয়, তবে এটি কেবলমাত্র বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে সম্পন্ন করা হয় এবং তারা তাদের নতুন সৃষ্টিগুলোকে একই শর্তে ক্রেডিট এবং লাইসেন্স দেয়। অ্যাট্রিবিউশন- শেয়ারঅ্যালাইককে প্রায়ই 'কপিলেফট' ফ্রি এবং ওপেন সফটওয়্যার লাইসেন্স বলা হয়। উইকিপিডিয়া এই ধরণের লাইসেন্স ব্যবহার করে।
'''অ্যাট্রিবিউশন-নোডেরিভস'''
CC BY-ND এই লাইসেন্সটি বাণিজ্যিক এবং অ-বাণিজ্যিক উভয় ক্ষেত্রেই পুনর্বণ্টনের সুযোগ দেয়, যতক্ষণ না এটি অপরিবর্তিত এবং সম্পূর্ণরূপে আপনার কৃতিত্বের সাথে পাস করা হয়।
'''অ্যাট্রিবিউশন-অ-বাণিজ্যিক'''
CC BY-NC অ্যাট্রিবিউশন-শেয়ারঅ্যালাইকের অনুরূপ, এই লাইসেন্সটি আপনাকে কাজ যোগ করতে, পরিবর্তন করতে এবং নির্মাণ করতে সক্ষম করে, তবে তা বাণিজ্যিক নয় এমন পরিবেশেও। নতুন সৃষ্টিকর্মকে আপনার পরিবর্তন এবং অ-বাণিজ্যিক উপাদান স্বীকার করতে হবে, তবে এটি একই লাইসেন্সের অধীনে হতে হবে না।
'''অ্যাট্রিবিউশন-ননকমার্শিয়াল-শেয়ারঅ্যালাইক'''
CC BY-NC-SA অ্যাট্রিবিউশন-ননকমার্শিয়ালের মতো মূল পার্থক্য হলো যে আপনাকে একই শর্তে নতুন কাজের লাইসেন্স দিতে হবে।
'''অ্যাট্রিবিউশন-ননকমার্শিয়াল-নোডেরিভস'''
CC BY-NC-ND এই লাইসেন্সটি সবচেয়ে সীমাবদ্ধ, শুধুমাত্র অন্যদের আপনার কাজ ডাউনলোড করতে এবং অন্যদের সাথে শেয়ার করতে দেয় যতক্ষণ না তারা মূল লেখককে কৃতিত্ব দেয়।
'''প্রভাব'''
ব্রাউসার্ড ক্রিয়েটিভ কমন্সকে কপিলেফট আন্দোলনের অগ্রভাগে বলে বর্ণনা করেছেন। এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে "সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত" কপিরাইটের একটি বিকল্প প্রদান করার চেষ্টা করছে (২০০৭)। বিকল্পভাবে, ডেভিড বেরি ক্রিয়েটিভ কমন্সকে বুদ্ধিজীবী সম্পত্তির বিষয়টিতে আগ্রহ তৈরি করার জন্য এবং "তথ্য যুগে" "কমন্স" এর ভূমিকা পুনর্বিবেচনা করার জন্য কৃতিত্ব দেন, তিনি বলেন "ক্রিয়েটিভ কমন্সে এমন প্রতিষ্ঠানিক, ব্যবহারিক এবং আইনগত সহায়তা রয়েছে যা افراد এবং গোষ্ঠীগুলোকে সংস্কৃতি নিয়ে আরও স্বাধীনভাবে পরীক্ষাগুলো এবং যোগাযোগ করতে চায়।" (বেরি, ডি, ২০০৫)। লেস্টিগ, অন্যদিকে আধুনিক সংস্কৃতিকে ঐতিহ্যবাহী কনটেন্ট বিতরণকারীদের দ্বারা আধিপত্যে ছিল বলে বর্ণনা করেছেন, সাংস্কৃতিক পণ্য যেমন সঙ্গীত এবং সিনেমার উপর মনোপলি বজায় রাখতে বা বৃহত্তর করতে, তিনি বলেছেন "ক্রিয়েটিভ কমন্স এই বিধিনিষেধগুলোর বিকল্প দিতে পারে" (লেস্টিগ, ২০০৬)।
== ওপেন সোর্স এবং মালিকানাধীন সফটওয়্যারের উদাহরণ ==
=== ইউনিক্স এবং জিএনইউ ===
[http://www.unix.org/ ইউনিক্স] ১৯৬৯ সালে বেল ল্যাবসে তৈরি করা হয়েছিল এবং এটি কম্পিউটিং ইতিহাসের প্রাচীনতম অপারেটিং সিস্টেমগুলোর মধ্যে একটি। এটিই সেই ভিত্তি যার উপর Mac OS X নির্মিত। এটি অনেকগুলো ভিন্ন মেশিনে চালানো যেতে পারে, এবং UNIX কম্পিউটারগুলো নেটওয়ার্কগুলোতে একসাথে কাজ করতে পারে। ইউনিক্স ছিল একটি মালিকানাধীন সিস্টেম কারণ বেল ল্যাবস কপিরাইট সুরক্ষিত রেখেছিল যাতে এটি একটি বন্ধ সিস্টেম ছিল যা ভাগ করা যেত না। একটি সিস্টেমে কাজ করার জন্য UNIX কোডটি সোর্স কোড বই থেকে ম্যানুয়ালি প্রবেশ করতে হত। এটি আজ আমাদের কাছে অত্যন্ত অদক্ষ বলে মনে হয়।
ওপেন সোর্স নেটওয়ার্কের উন্নয়নে রিচার্ড স্টলম্যান ছিলেন মৌলিক ভূমিকা পালনকারী। তিনি UNIX কে আরও ভাগ করে নেওয়ার যোগ্য উন্মুক্ত সিস্টেমে রূপান্তর করতে চেয়েছিলেন। ১৯৮৪ সালে তিনি [http://www.fsf.org/ ফ্রি সফটওয়্যার ফাউন্ডেশন] (FSF) তৈরি করেন। FSF-এর মূল লক্ষ্য ছিল সফটওয়্যারকে আরও উন্মুক্ত এবং প্রাপ্যতাযোগ্য করে তোলা, ঠিক যেমন প্রাথমিক কম্পিউটিং বুদ্ধিমত্তা এবং বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার ভাগ করে নেওয়ার উপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। স্টলম্যান GNU ("GNU is not UNIX") আবিষ্কার করেন UNIX কে নতুনভাবে পুনর্নির্মাণ করে যাতে এটি উন্মুক্ত এবং ভাগ করে নেওয়া যায়, যাতে ব্যবহারকারীরা তাদের ইচ্ছামত কোডটি মানিয়ে নিতে এবং পরিবর্তন করতে পারে। GNU যে কোনও সিস্টেমে চলতে সক্ষম ছিল যা ইতিমধ্যেই UNIX সমর্থন করে। স্টলম্যান GNU-কে একটি নতুন সিস্টেমের অধীনে লাইসেন্স দিয়েছিলেন যার নাম জেনারেল পাবলিক লাইসেন্স (GPL। এটি "কপিলেফট" নামেও পরিচিত) যাতে GNU-কে মালিকানাধীন সফটওয়্যারে পরিণত হতে না পারে।
=== লিনাক্সের সাফল্য ===
লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেম একটি ওপেন সোর্স প্রকল্পের একটি গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ যা ক্রমশ শক্তিশালী হচ্ছে। এই প্রকল্পের সহযোগিতার সম্ভাবনাগুলো নিজেই নেটওয়ার্কের শক্তির প্রতিনিধিত্ব করে। কারণ এর প্রাথমিক পর্যায়ে যখন খুব কম অবদানকারী অংশগ্রহণ করছিলেন তখনও তাদের সারা বিশ্বে পাওয়া যেত। এই ব্যবস্থার সাফল্যের পেছনে অনেকগুলো কারণ রয়েছে, যেমন সম্পত্তির অধিকারের প্রতি বিশেষ দৃষ্টিভঙ্গি যা এর লাইসেন্স গঠন করে। লিনাক্সের [[গ্নু জেনারেল পাবলিক লাইসেন্স|জেনারেল পাবলিক লাইসেন্স]] (GPL) সিস্টেমের ক্রমাগত উন্নয়নকে এর উপর ভিত্তি করে তৈরি হিসেবে স্বীকৃতি দেয়, তবে এটি পুনর্বণ্টনের সময় এর উপর কোনও বিধিনিষেধ আরোপের সুযোগ দেয় না। এটি বার্কলে সফটওয়্যার ডিস্ট্রিবিউশন (BSD) লাইসেন্সের একটি বিকল্প। এটি প্রোগ্রামারদের সিস্টেম উন্নত করার জন্য একই স্বাধীনতা প্রদান করে না।
লিনাক্সের সাফল্যের আরেকটি কারণ হলো প্রকল্পের জন্য অব্যাহত, ঐক্যবদ্ধ সমর্থন। এটি প্রকল্প নেতাদের দ্বারা গৃহীত সিদ্ধান্ত এবং নিয়ম প্রত্যাখ্যান করার ঝুঁকি সম্পর্কে বোঝার কারণে। যারা প্রস্তাবিত কোড পরিবর্তন গ্রহণ করতে ব্যর্থ হন, তাদের জন্য প্রাথমিক প্রকল্প থেকে আলাদা হয়ে তাদের পরিবর্তনগুলো বাস্তবায়িত করে একটি নতুন প্রকল্প স্থাপন করার সুযোগ রয়েছে, যাকে "ফর্কিং" বলা হয়। <ref>Weber, S. (2004). ''Success of Open Source.'' Cambridge: Harvard University Press, p.64</ref> যদিও কিছু ডেভেলপার এটিকে ওপেন সোর্স প্রোগ্রামিংয়ের একটি অপরিহার্য অধিকার হিসেবে দেখেন, তবুও এই প্রক্রিয়ায় ঝুঁকি রয়েছে। লিনাক্সের ক্ষেত্রে, প্রলিফিক ফর্কিং কর্মীদের বিভক্ত করার এবং সামগ্রিক উৎপাদনশীলতা হ্রাস করার ঝুঁকি বহন করে। অধিকন্তু, আরও প্রকল্পের সাথে সাথে একটি প্রকল্পে উল্লেখযোগ্য সমস্যা দেখা দেওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। এটি প্রতিটি প্রকল্পের উপর খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে, ফর্কিংয়ের মাধ্যমে উদ্ভূত প্রকল্প থেকে শুরু করে প্রাথমিক প্রকল্প পর্যন্ত। <ref>Weber, S. (2004). ''Success of Open Source.'' Cambridge: Harvard University Press, p.159</ref> দক্ষতা এবং উৎপাদনশীলতার এই ভাঙ্গনের ফলে বেশ কয়েকটি প্রকল্প, সম্ভবত সবগুলোই ব্যর্থ হতে পারে। লিনাক্সের দীর্ঘ জীবনকাল এবং অব্যাহত, দীর্ঘমেয়াদী সহযোগিতার সম্ভাবনা উপরে উল্লিখিত ঝুঁকিগুলোর জন্য ঝুঁকি নেওয়ার প্রবণতাকে নিরুৎসাহিত করে, তাই এটি এখনও পর্যন্ত এটির অভিজ্ঞতা লাভ করেনি। <ref>Weber, S. (2004). ''Success of Open Source.'' Cambridge: Harvard University Press, p.159</ref>
ওপেন সোর্স ফরম্যাটের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সুবিধা থেকে লিনাক্সও উপকৃত হয়। ঐতিহ্যবাহী মালিকানাধীন ব্যবস্থায়, প্রত্যেকের কাছ থেকে প্রায় সমান পরিমাণে কাজের অবদান আশা করা হয়। তবে ওপেন সোর্সে, অবদানকারীদের একটি ছোট শতাংশের জন্য কাজের একটি বড় অংশ সম্পাদন করা সাধারণ, এবং বিপুল সংখ্যক অপ্রাপ্তবয়স্ক অবদানকারীদের জন্য কেবল এক বা দুটি অবদান রাখা স্বাভাবিক। তবুও, জর্ডান যুক্তি দেন যে একটি ওপেন সোর্স প্রকল্পের প্রেক্ষাপটে, একজন ব্যক্তি এমন একটি কাজ সম্পন্ন করতে পারেন যা অন্যথায় সম্পন্ন নাও হতে পারে। যদি একজন ব্যক্তি মাত্র একটি অবদানের মাধ্যমেও গ্রুপ প্রকল্পের উন্নতি করেন, তাহলে সকলেই আরও ভালো পণ্য পেয়ে উপকৃত হবেন।
পরিসংখ্যান থেকে জানা যায় যে ইন্টারনেটের ৩৬.২% ওয়েবসাইট লিনাক্স ব্যবহার করে। এরিকের মতে, লিনাক্স একটি বিকেন্দ্রীভূত উন্নয়ন পদ্ধতি [http://www.fao.org/docs/up/easypol/342/decen_dev_in_agri_012en.pdf] গ্রহণ করেছে। "ক্যাথেড্রাল অ্যান্ড দ্য বাজার" এবং অনুরূপ কাজে এস রেমন্ডের পরীক্ষা। এই পদ্ধতির ফলে অবদানকারীরা একটি সংবেদনশীলহীন সাংগঠনিক কাঠামোর মধ্যে ক্রমাগত কাজ করতে সক্ষম হন। লিনাক্সের অপারেটিং সিস্টেমের বৈশিষ্ট্যগুলোও এর সাফল্য বিশ্লেষণ করার সময় বিবেচনা করার মতো আরেকটি সম্ভাব্য কারণ। লিনাক্স এবং ইউনিক্সের মতো অন্যান্য অপারেটিং সিস্টেমের মধ্যে প্রযুক্তিগত বৈপরীত্য রয়েছে যা লিনাক্সের সাফল্য নিয়ে আলোচনা করার সময় মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ। একটি নির্দিষ্ট উৎস অনুসারে, কার্নেলের গণিত কোপ্রসেসর ব্যবহার না করেই 387-FPU নির্দেশাবলী এবং সিস্টেম অনুকরণ করার ক্ষমতা রয়েছে এবং একাধিক প্রোগ্রাম চালানোর ক্ষমতা রয়েছে যার জন্য ফ্লোট-পয়েন্ট গণিত ক্ষমতার একটি স্তর প্রয়োজন। লিনাক্স ডেটা স্টোরেজের জন্য বিভিন্ন ফাইল সিস্টেম সমর্থন করে, এবং ext2 ফাইল সিস্টেমের মতো। এটি বিশেষভাবে লিনাক্সের জন্য তৈরি করা হয়েছিল।
=== অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস ===
==== অ্যান্ড্রয়েডের উন্নয়ন ====
[[চিত্র:Android_robot.png|থাম্ব| অ্যান্ড্রয়েড লোগো]]
২০০৭ সালের ৫ নভেম্বর তারিখে গুগলের মোবাইল ফোন অপারেটিং সিস্টেম [[Android(operating system)|অ্যান্ড্রয়েড]] সর্বজনীনভাবে আত্মপ্রকাশ করে। এর বিশ্বব্যাপী প্রবর্তন [[ওপেন হ্যান্ডসেট অ্যালায়েন্স|ওপেন হ্যান্ডসেট অ্যালায়েন্সের]] সৃষ্টি এবং প্রবর্তনের সাথেও সম্পর্কিত। কোম্পানিগুলোর একটি কনসোর্টিয়াম যারা তাদের পণ্যগুলোতে নতুন তৈরি অ্যান্ড্রয়েড সফটওয়্যার প্রয়োগ করে। কনসোর্টিয়ামটি জনসমক্ষে প্রকাশিত হওয়ার সময় এর ৩৪ সদস্যের তালিকায় টি-মোবাইল, [[স্যামসাং ইলেকট্রনিক্স]], [[এইচটিসি]] এবং [[সনি|সনির]] মতো কোম্পানিগুলো অন্তর্ভুক্ত ছিল। পরবর্তী বছরগুলোতে, [[তোশিবা]], এসার এবং [[ভোডাফোন|ভোডাফোনের]] মতো কোম্পানিগুলো যোগদানের সাথে সাথে সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। <ref>http://www.cnet.com/uk/news/googles-open-handset-alliance-gains-14-new-members/</ref> এই জোটটি ছিল গুগলের অ্যান্ড্রয়েডকে একটি উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যার হিসেবে বিকাশের সিদ্ধান্তের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপজাত।
রিচ মাইনার, [[অ্যান্ডি রুবিন]] এবং নিক সিয়ার্সকে সাধারণত অ্যান্ড্রয়েডের উদ্ভাবক হিসেবে কৃতিত্ব দেওয়া হয়। <ref>http://uk.businessinsider.com/how-android-was-created-2015-3?r=US&IR=T</ref> ২০০৫ সালে গুগল কর্তৃক কেনার আগে তারা একসাথে একটি ছোট কোম্পানি, Android.inc, হিসেবে অ্যান্ড্রয়েডে কাজ করেছিল। তাদের অধিগ্রহণের পর উপলব্ধ তহবিল বৃদ্ধি এবং প্রচুর নতুন সম্পদের আধিক্য উন্নয়ন প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে। দুই বছর পর প্রথম সর্বজনীনভাবে উপলব্ধ অ্যান্ড্রয়েড সফটওয়্যার তৈরি করা হয়। গুগল মূলত অ্যাপলের আইওএস-এর উন্নয়নের বিরোধিতা করে অপারেটিং সিস্টেমটি তৈরি করেছিল। ২০১০ সালে গুগলের আই/ও সম্মেলনের মূল বক্তৃতায়, গুগলের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট সোশ্যাল ভিক গুন্ডোত্রা দাবি করেছিলেন, "আমরা যদি পদক্ষেপ না নিই, তাহলে আমরা এক ভয়াবহ ভবিষ্যতের মুখোমুখি হব যেখানে একজন মানুষ, একজন ফোন, একজন ক্যারিয়ারই হবে ভবিষ্যৎ। এমন একটি ভবিষ্যৎ আমরা চাই না।" <ref>http://www.theatlantic.com/technology/archive/2013/12/the-day-google-had-to-start-over-on-android/282479/</ref>
অ্যান্ড্রয়েড প্রকাশের প্রায় এক বছর আগে, [[স্টিভ জবস]] ৯ জানুয়ারি, ২০০৭ তারিখে অ্যাপল আইফোন চালু করেছিলেন। গুগলের ভেতরে এই ঘোষণার প্রতিক্রিয়া ছিল অবাক করার মতো। গুগলের একজন কর্মচারী, ক্রিস ডিসালভো মন্তব্য করেছেন;<div align="center">
'''"একজন ভোক্তা হিসেবে আমি অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। আমি তাৎক্ষণিকভাবে একটি চাইছিলাম। কিন্তু একজন গুগল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে, আমি ভেবেছিলাম 'আমাদের নতুন করে শুরু করতে হবে। নব্বইয়ের দশকে আমরা যা হঠাৎ করে দেখেছিলাম তা এমন একটি জিনিস যা দেখলেই স্পষ্ট হয়ে ওঠে।"'''
</div>এই ঘোষণা অনুসারে অ্যান্ড্রয়েড ইঞ্জিনিয়ারদের দ্বারা তাড়াতাড়ি কিছু পরিবর্তন করা হয়। বিশেষ করে তাদের পণ্যে 'টাচস্ক্রিন' যুক্ত করা হয়। যদিও অ্যাপলের ঘোষণা অ্যান্ড্রয়ের আগে এসেছিল। এটি তাদের বাজারে সাময়িকভাবে লাভবান করতে সুবিধা দিয়েছিল। বিষয়টি অ্যান্ড্রয়েরডের একটি সুবিধাজনক অবস্থান হিসেবে দেখা হয়। কারণ এর ফলেঅ্যাপল কী মিস করেছে তা অ্যান্ড্রয়েরডের ইঞ্জিনিয়ারদেরকে দেখার সুযোগকরে দেয়।
অ্যান্ড্রয়েড ওপেন সোর্স সফটওয়্যার লিনাক্সের উপর ভিত্তি করে তৈরি। ফলে এর সোর্স কোড সকলের জন্য প্রাপ্যতাযোগ্য করে তোলে, অ্যান্ড্রয়েডের লিনাক্স পিসিতে আমরা যে লিনাক্স ব্যবহার করি তার থেকে ভিন্নভাবে কাজ করে। পিসির মতো অ্যান্ড্রয়েড লিনাক্স কার্নেল সংস্করণের একটি পরিবর্তিত সংস্করণ ব্যবহার করে।তবে একই সংস্করণ নয়। অ্যান্ড্রয়েডের জন্য লিনাক্স স্মার্টফোনের কথা মাথায় রেখে ডিজাইন করা হয়েছে ।তাই মূল কার্নেলে অন্যান্য সমন্বয়ের সাথে টাচ-স্ক্রিন প্রোগ্রামিং যোগ করা হয়েছে। নিচে কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপাদানের তালিকা দেওয়া হলো।
* অ্যালার্ম ড্রাইভার: ডিভাইসগুলোকে ঘুম থেকে জাগানোর জন্য টাইমার সরবরাহ করে
* Ashmem: অ্যাপ্লিকেশনগুলোকে মেমরি ভাগ করে নেওয়ার সুযোগ দেয় এবং কার্নেল স্তরে ভাগ করে নেওয়ার ব্যবস্থা করে।
* বাইন্ডার ড্রাইভার: আন্তঃ-প্রক্রিয়া যোগাযোগ সহজতর করে কারণ শেয়ার্ড মেমোরি ব্যবহারের মাধ্যমে একাধিক অ্যাপ্লিকেশন দ্বারা ডেটা ভাগ করা যায়। IPC হিসেবে নিবন্ধিত একটি পরিষেবা
পরিষেবা প্রদানকারীদের বিভিন্ন থ্রেড নিয়ে চিন্তা করতে হবে না কারণ বাইন্ডার সেগুলো পরিচালনা, পর্যবেক্ষণ এবং পরিচালনা করবে। বাইন্ডার প্রক্রিয়াগুলোর মধ্যে সিঙ্ক্রোনাইজেশনেরও যত্ন নেয়।
* পাওয়ার ম্যানেজমেন্ট: স্ট্যান্ডার্ড লিনাক্স পাওয়ার ম্যানেজমেন্ট (PM) এর উপরে তৈরি এবং
বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনা এবং সাশ্রয়ের জন্য আরও আক্রমণাত্মক নীতি গ্রহণ করুন। <ref>http://www.handycodeworks.com/wp-content/uploads/2011/02/linux_versus_android.pdf</ref>
গুগল কেন অ্যান্ড্রয়েডকে একটি ওপেন সোর্স অপারেটিং সিস্টেম বানিয়েছে তা বিতর্কের বিষয়। বিরোধীরা যুক্তি দেন যে সিদ্ধান্তটি মূলত আর্থিক ভিত্তিক ছিল। ওপেন সোর্স প্রযুক্তির লাভ-ভিত্তিক একাধিক সুবিধা রয়েছে। এটি মূলত সিস্টেমের ব্যাপক জনপ্রিয়তার কারণে। এটি গুগলের নাগাল আরও বাড়িয়ে তোলে এবং তাদের ভোক্তা জনসংখ্যার পরিধি প্রসারিত করে। তবে তাদের ওয়েবসাইটে, অ্যান্ড্রয়েড ব্যাখ্যা করেছে কেন তারা একটি ওপেন সোর্স সিস্টেম ব্যবহার করে;
'''"অ্যান্ড্রয়েডের প্রাথমিক উদ্দেশ্য হলো ক্যারিয়ার, OEM এবং ডেভেলপারদের জন্য একটি উন্মুক্ত সফটওয়্যার প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা যাতে তারা তাদের উদ্ভাবনী ধারণাগুলোকে বাস্তবে রূপ দিতে পারে এবং একটি সফল, বাস্তব-বিশ্বের পণ্য প্রবর্তন করতে পারে যা ব্যবহারকারীদের জন্য মোবাইল অভিজ্ঞতা উন্নত করে। আমরা আরও নিশ্চিত করতে চেয়েছিলাম যে ব্যর্থতার কোনও কেন্দ্রীয় বিন্দু নেই, যেখানে একজন শিল্প খেলোয়াড় অন্য কারও উদ্ভাবনকে সীমাবদ্ধ বা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।"''' <ref>https://source.android.com/source/</ref>
==== আইওএসের উন্নয়ন ====
[[চিত্র:Steve_Jobs_presents_iPhone.jpg|থাম্ব| স্টিভ জবস আইফোন উপস্থাপন করছেন]]
অ্যাপলের মোবাইল ফোন অপারেটিং সিস্টেম, [[আইওএস]]<nowiki>। এটি পূর্বে ওএস নামে পরিচিত ছিল, ৯ জানুয়ারি, ২০০৭ সালে আইফোন প্রবর্তনের মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ করে। প্রথম আইফোনগুলো সেই গ্রীষ্মের পরে বিক্রি শুরু হবে। আইওএসের নকশা অ্যাপল ম্যাকিনটোশের অপারেটিং সিস্টেম ওএস এক্স-এর উপর ভিত্তি করে তৈরি। স্টিভ জবস কর্তৃক আইপড প্রোগ্রামিং এবং ম্যাকিনটোশ প্রোগ্রামিংয়ের মধ্যে একটি প্রতিযোগিতার পর এই সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে ম্যাকিনটোশ ভিত্তিক একটি সিস্টেমই সবচেয়ে উপযুক্ত। ম্যাকিনটোশ দলের নেতৃত্বে ছিলেন [[w:Scott Forstall|Scott Forstall}}, যাকে অ্যাপ স্টোর তৈরি এবং বিকাশের জন্য কৃতিত্ব দেওয়া হয়। </nowiki><ref>http://www.bloomberg.com/news/articles/2011-10-12/scott-forstall-the-sorcerers-apprentice-at-apple</ref>
আইওএস একটি মালিকানাধীন অপারেটিং সিস্টেম এবং তাই এর সোর্স কোড প্রাপ্যতাযোগ্য বা পরিবর্তনযোগ্য নয়। অ্যাপলই একমাত্র কোম্পানি যার পণ্যে আইওএস ব্যবহারের সুযোগ এবং বৈধতা রয়েছে। অপারেটিং সিস্টেম পরিবর্তনের ক্ষেত্রে ব্যবহারকারীদের সীমিত প্রাপ্যতাের কারণে, জেলব্রেকিংয়ের প্রক্রিয়াটি জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে অ্যান্ড্রয়েডের মতো অপারেটিং সিস্টেমে বিরোধী সফটওয়্যারের উপাদান রয়েছে, এই ক্ষেত্রে ওপেন সোর্স। এমন দাবি করা হয়েছে যে স্টিভ জবস আসলে ওপেন সোর্সের একজন পথিকৃৎ ছিলেন। আইওএস-ভিত্তিক ম্যাক অপারেটিং সিস্টেমটি নিজেই ডারউইনের ওপেন সোর্স সফটওয়্যারের উপর ভিত্তি করে তৈরি। ডারউইন ২০০৩ সালে অ্যাপল দ্বারা একটি বিনামূল্যের এবং ওপেন সোর্স সফটওয়্যার লাইসেন্সের অধীনে প্রকাশিত হয়েছিল। অধিকন্তু, স্টিভ জবস দাবি করেছেন যে অ্যান্ড্রয়েড "আসলে তেমন খোলা নয়" তিনি উল্লেখ করেছেন যে কিছু মোবাইল ডিভাইস কোম্পানি যেমন HTC তাদের ইন্টারফেসে মালিকানাধীন সফটওয়্যার ব্যবহার করেছে। তিনি এতে অসন্তোষ প্রকাশ করেন কারণ এর ফলে ব্যবহারকারীদের নিজেরাই এটি সমাধান করতে হয়। এটিকে অ্যাপল মালিকানাধীন সফটওয়্যার বাস্তবায়নের অন্যতম কারণ হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে; ডিভাইসের ব্যবহারকারী-বান্ধবতা উন্নত করার জন্য।
অ্যান্ড্রয়েডের মতোই, যুক্তি দেওয়া হয় যে এই সিদ্ধান্তটি মূলত আর্থিক ভিত্তিক ছিল। সফটওয়্যারটির কপিরাইট করার মাধ্যমে তারা অন্যান্য কোম্পানিগুলোকে এটি ব্যবহার থেকে বিরত রাখে, তাই যারা ইন্টারফেসটি উপভোগ করেছেন তাদের অ্যাপল পণ্য কিনতে হবে। অ্যাপল স্বীকার করেছে যে অনলাইন সম্প্রদায়ের মধ্যে, বিশেষ করে হ্যাকার সম্প্রদায়ের মধ্যে, প্রোপ্রাইটারিকে অবজ্ঞা করা হয়, তাই তারা টাচস্ক্রিন এবং হোম বোতামের মতো নির্দিষ্ট উদ্ভাবনী বৈশিষ্ট্যগুলোর উপর IOS প্রকাশের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করেছে। মালিকানাধীন সমালোচকরা যুক্তি দেন যে ওপেন সোর্স সফটওয়্যার অ্যাপলের জন্য অনিবার্য। <ref>http://www.wired.com/2015/06/open-sourcing-no-longer-optional-not-even-apple/</ref> তাদের যুক্তি হলো, অ্যাপল যদি প্রতিটি নতুন সংস্করণের সাথে মালিকানার মাত্রা বৃদ্ধি করতে থাকে, তাহলে তারা তাদের জনপ্রিয় অ্যাপ্লিকেশনগুলোর বেশিরভাগের জন্য নির্ভরশীল ডেভেলপারদের বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার ঝুঁকিতে পড়বে। মাইক্রোসফটের লিনাক্সের সাম্প্রতিক গ্রহণযোগ্যতা অ্যাপলের উপর আরও চাপ সৃষ্টি করেছে কারণ মাইক্রোসফটের মালিকানাধীন সফটওয়্যারের সাথে দীর্ঘদিনের মৌলিক সম্পর্ক রয়েছে।
==== বিতর্কের ভূমিকা ====
বিপরীত অপারেটিং সিস্টেমগুলোকে ঘিরে বিতর্কের ব্যবহারিক এবং আদর্শিক উভয় দিক থেকেই গুরুত্ব রয়েছে। ব্যবহারিকতার বিষয়গুলো অনলাইন ফোরামগুলোতে প্রাধান্য পায় এবং প্রায়ই উভয়ের মধ্যে তুলনা করা হয়। ব্যবহারকারী-বান্ধবতা, গোপনীয়তা, নিরাপত্তা, কাস্টমাইজেবিলিটি এবং অ্যাপ্লিকেশনগুলো সরাসরি অপারেটিং সিস্টেমের প্রকৃতি দ্বারা প্রভাবিত হয়, তা মালিকানাধীন হোক বা ওপেন সোর্স। সাধারণ জনগণের কাছে এগুলো বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে হয়। কিন্তু কিছু মানুষের কাছে, বিশেষ করে হ্যাকার সম্প্রদায় এবং ইন্টারনেট কর্মীদের মধ্যে যারা আছেন তাদের কাছে, বিপরীত অপারেটিং সিস্টেমগুলো বিপরীত মতাদর্শের প্রতিনিধিত্ব করে। অ্যান্ড্রয়েডকে 'জনস্বার্থ' হিসেবে দেখা হয়, যেখানে আইওএস 'মানুষের স্বার্থের' প্রতিনিধিত্ব করে। মাইক্রোসফটের গবেষণা সমাজবিজ্ঞানী মার্ক এ. স্মিথ ব্যাখ্যা করেছেন কিভাবে এই দুটির মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখার প্রয়োজন। তিনি "মুক্ত রাইডার" ধারণাটি বর্ণনা করেছেন যারা জনসাধারণের কল্যাণে অবদান না রেখেই তা ব্যবহার করে। এই ধারণাটি বেশিরভাগ অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীদের জন্য প্রযোজ্য হবে যারা সোর্স কোড প্রাপ্যতা বা পরিবর্তন করেন না।
বিরোধী মতাদর্শের পাশাপাশি এটি বিরোধী [[বিবর্তন|বিবর্তনীয় ব্যাখ্যার]] প্রতিনিধিত্ব করে। এমন ধারণা রয়েছে যে প্রতিযোগিতাই ছিল বিবর্তনের একমাত্র চালিকা শক্তি। এটি আইওএস এবং মালিকানাধীন সফটওয়্যারকে সমাজের জন্য সাধারণত উপকারী হিসাবে ব্যাখ্যা করবে। এর বিরোধিতা করা হয় এই দাবির মাধ্যমে যে সহযোগিতা বিবর্তনের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক এবং বর্ধিত প্রাণীজগতেও এটি প্রতিনিধিত্ব করে। <ref>Rheingold, H. (2003). Smart mobs. Cambridge, MA: Perseus Pub. pg39</ref> লিনাক্সকে বর্ণনা করা হয়েছে, "ডেভেলপারদের দ্বারা প্রবর্তিত মিউটেশনের উপর এক ধরণের দ্রুত ডারউইনীয় নির্বাচন তৈরি করা।" "
অনেক দিক থেকেই অপারেটিং সিস্টেমের স্পষ্ট উল্লেখ ছাড়াই জনপ্রিয় বিতর্কটি ঘটেছে। দুটি সর্বাধিক জনপ্রিয় অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে তারা তাদের নিজস্ব ফ্যান ওয়েবসাইট এবং মিটআপের মাধ্যমে উৎসাহী ভক্তদের আকর্ষণ করেছে। সিস্টেমগুলো গুগল এবং অ্যাপলের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্বদের, যেমন স্টিভ জবসের সাথে সেলিব্রিটির লড়াইয়ে প্রবেশ করেছে, অপারেটিং সিস্টেমের চেয়ে বেশি বিখ্যাত হয়ে উঠেছে। নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক এরিক রোবেলস-অ্যান্ডারসন এবং অন্যান্যরা অ্যাপলকে একটি ' ধর্ম-সংস্কৃতি ' হিসেবে বর্ণনা করেছেন। <ref>http://www.techinsider.io/nyu-professor-says-apple-is-a-cult-2015-9</ref> এটিই ছিল 'ম্যাকহেডস' তথ্যচিত্রের ভিত্তি। অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস-এর এখন বিশাল সংখ্যক প্রতিষ্ঠিত ভক্ত রয়েছে যারা তাদের নিজ নিজ অপারেটিং সিস্টেমের প্রতি অনুগত এবং একে অপরের পণ্য কিনবে না <ref>http://www.telegraph.co.uk/technology/apple/10632787/iPhone-owners-admit-having-blind-loyalty-to-Apple.html</ref>
==== অ্যান্ড্রয়েডের সুবিধা এবং সমালোচনা ====
'''প্রাপ্যতা এবং সামঞ্জস্য'''
ব্যবহারকারীদের কাছে এর বিশাল প্রাপ্যতার জন্য অ্যান্ড্রয়েড ধারাবাহিকভাবে প্রশংসিত হয়। এটি এর ওপেন সোর্স বৈশিষ্ট্যের প্রত্যক্ষ ফলাফল। অনেক কোম্পানি তাদের পণ্যে অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহার করে। এর ফলে গ্রাহকরা আইওএস পরিচালিত পণ্যের তুলনায় ফোন এবং ট্যাবলেটের একটি উল্লেখযোগ্য বিস্তৃত নির্বাচন থেকে পছন্দ করতে পারেন। বিপুল সংখ্যক অ্যান্ড্রয়েড প্রস্তুত ডিভাইসের কারণে পরবর্তীতে অ্যান্ড্রয়েড ৮০% এরও বেশি শেয়ার নিয়ে বাজারে আধিপত্য বিস্তার করতে সক্ষম হয়েছে। <ref>http://www.idc.com/prodserv/smartphone-os-market-share.jsp</ref> এটি সাধারণত (Apache Software License ২.০ (APL২.০), একটি বিনামূল্যের সফটওয়্যার লাইসেন্সের অধীনে পরিচালিত লাইসেন্সের কারণে, নির্মাতারা তাদের নিজস্ব স্পেসিফিকেশন অনুসারে সোর্স কোড পরিবর্তন করতে পারে। <ref>http://www.idc.com/prodserv/smartphone-os-market-share.jsp</ref> এইভাবে অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীরা নির্মাতার উপর নির্ভর করে ভিন্ন অভিজ্ঞতা পেতে পারেন। এটি বৈচিত্র্য এবং পছন্দ বৃদ্ধির কারণে উপকারী বলে মনে করা হয়, তবে বিভিন্ন অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং ডিভাইসের মধ্যে মানের বৈষম্যের জন্য এটি সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছে।
'''কাস্টমাইজেবিলিটি'''
অ্যান্ড্রয়েডে, কাস্টমাইজেশনকে প্রকাশ্যে উৎসাহিত করা হয় এবং তাই এটি অনেক হ্যাকারের কার্যত পছন্দ। কাস্টমাইজেশনের এই সুযোগটি ব্যাপক, যেখানে ব্যবহারকারীরা আরও জটিল কাজ করতে পারবেন, যেমন সোর্স কোডে অবদান রাখা এবং প্রচলিত কাস্টমাইজেশনের ত্রুটিগুলো সনাক্ত করা, যেমন টোয়াইলাইট এবং এয়ারড্রয়েডের মতো অ্যাপ ইনস্টল করা এবং অ্যাপ আইকন পরিবর্তন করা। সোর্স কোডটি উপলব্ধ এবং ব্যবহারকারীদের ইচ্ছানুযায়ী ব্যবহার করার জন্য প্রস্তুত। কাস্টমাইজেশনের সাথে এর ইতিবাচক প্রভাবের দুটি ধারণা রয়েছে; অভ্যন্তরীণ এবং বাহ্যিক। অভ্যন্তরীণ বলতে ব্যবহারকারীর নিজস্ব কাস্টমাইজেশন সম্পাদনের মাধ্যমে অর্জিত সন্তুষ্টি বোঝায়, অন্যদিকে বহির্মুখী বলতে কাস্টমাইজেশনের ফলে হওয়া উন্নতির মাধ্যমে ব্যবহারকারীর সন্তুষ্টি বোঝায় ঠিক যেমন আপনি অ্যাপ ডিজাইন করতে এবং [[গুগল প্লে|গুগল প্লে স্টোরে]] অফার করতে সক্ষম হন, আপনি স্টোরের সোর্স কোডও পরিবর্তন করতে পারেন। এই উন্মুক্ততার ফলে অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ ডাউনলোডের সংখ্যা আইওএস-এর চেয়ে বেশি হয়ে গেছে, যদিও এটি অ্যান্ড্রয়েড এবং অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ ডেভেলপারদের উপর একটি বড় নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে: রাজস্ব হ্রাস। গুগল প্লে অ্যাপলের [[App store (IOS)|অ্যাপ স্টোরের তুলনায় ৭০% কম আয় করে।]]
'''ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা'''
অ্যান্ড্রয়েডের সাথে সঠিক ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা নির্মাতাদের মূল সোর্স কোডের পরিবর্তনের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হয়, যদিও প্রযুক্তি সম্প্রদায়ে সাধারণীকরণ করা যেতে পারে এবং করা হয়েছে। অ্যান্ড্রয়েডের খ্যাতি আইওএসের মতো 'পরিষ্কার' না হওয়া এবং 'খাটো' হওয়ার জন্য ওপেন সোর্স উৎসের কারণে, এর নকশাটি তার প্রতিযোগীর মতো পরিশীলিত বলে বিবেচিত হয় না এবং 'কার্টুনিশ' হওয়ার জন্য আরও সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছে। অন্যান্য অপারেটিং সিস্টেমের সাথে অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতার তুলনা করে করা একটি জরিপে দেখা গেছে যে এটি IOS এর তুলনায় কম স্কোর করেছে (৫৭.২৫ থেকে ৭৩.২৫) ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো প্রাথমিকভাবে ব্যবহারের সহজতা, বিশেষ করে একজন অ-প্রযুক্তিগত ব্যবহারকারীর জন্য। আরেকটি জরিপে দেখা গেছে যে অ্যান্ড্রয়েডের জ্ঞানীয় লোড সবচেয়ে বেশি, সংশ্লিষ্ট IOS এর তুলনায় চার গুণ বেশি। ধারণা করা হচ্ছে,অ্যান্ড্রয়েড স্বাভাবিকভাবে ব্যবহার করতে আইওএসের তুলনায় বেশি সময় নেয়।
'''গোপনীয়তা'''
অ্যান্ড্রয়েড বিজ্ঞাপন লাইব্রেরিগুলোর উপর গবেষণায় দেখা গেছে যে বিজ্ঞাপনগুলো ব্যবহারকারীর অবস্থান, পরিচিতি, ফোন নম্বর সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহ করতে পারে এবং এমনকি ক্যামেরা এবং মাইক্রোফোনেও প্রাপ্যতা পেতে পারে এটি বিজ্ঞাপনগুলোকে সংগৃহীত তথ্যের উপর ভিত্তি করে তাদের ব্যবহারকারীকে আরও ভালভাবে লক্ষ্য করতে দেয়। যখন কোনও বিজ্ঞাপন আপনার নাম, ঠিকানা এবং সহযোগীদেরও শনাক্ত করতে সক্ষম হয়, তখন এটি আরও গুরুতর গোপনীয়তার সমস্যা হয়ে উঠতে পারে। এটি অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস প্ল্যাটফর্মের জন্য একটি সমস্যা। দেখা গেছে যে গ্রাহকরা প্রায়ই ডিফল্ট গোপনীয়তা বিকল্পগুলোতে সম্মতি জানান। এর ফলে গোপনীয়তা কর্মীরা 'অপ্ট ইন' বৈশিষ্ট্যের জন্য প্রচারণা চালাচ্ছেন, যেমনটি ইইউতে দেখা যায়। এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা একটি বিজ্ঞাপনের প্রাপ্যতা সম্পর্কে আরও স্বচ্ছ ধারণা দিচ্ছেন। যদিও অ্যাপের গোপনীয়তার স্পেসিফিকেশনের জন্য অ্যান্ড্রয়েড সমালোচিত হয়েছে, তবুও অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস উভয়কেই এই আইনগুলো মেনে চলতে হবে। এটি ব্যবহারকারীকে অ্যাপের গোপনীয়তা চুক্তি গ্রহণ বা প্রত্যাখ্যান করার সুযোগ দেয় কিন্তু পরবর্তী সময়ে এতে কোনও পরিবর্তন আনে না। বিপরীতে, IOS ব্যবহারকারীকে গোপনীয়তা চুক্তি গ্রহণের পরে একটি অ্যাপের নির্দিষ্ট প্রাপ্যতা নিষ্ক্রিয় করার সুযোগ দেয়, যেমন ক্যামেরা প্রাপ্যতা নিষ্ক্রিয় করা।
'''ওয়েব ব্রাউজার'''
অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীকে তাদের পছন্দের ডিফল্ট ওয়েব ব্রাউজার নির্ধারণ করতে দেয়। এটি গুগল প্লে স্টোর থেকে একটি তৃতীয় পক্ষের অ্যাপ অধিগ্রহণের মাধ্যমে করা হয় তবে অ্যান্ড্রয়েডের অ্যাপল-বিকশিত ব্রাউজার [[সাফারি (ওয়েব ব্রাউজার)|সাফারিতে]] প্রাপ্যতা নেই; আইওএসের তুলনায় ব্যবহারকারীদের তাদের পছন্দের ব্রাউজারটি সম্পূর্ণরূপে পরিবর্তন করার সুযোগ দেওয়ার জন্য অ্যান্ড্রয়েড প্রশংসিত হয়েছে, যেখানে সাফারি অন্তর্নির্মিত এবং আনইনস্টল করা যায় না।
'''প্রাপ্যতা এবং সামঞ্জস্য'''
IOS উপলব্ধ এবং শুধুমাত্র Apple পণ্যের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এই বৈশিষ্ট্যটি সমালোচিত হয়েছে কারণ এর অর্থ হলো অ্যাপ স্টোর এবং গুগল প্লে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়, তাই ব্যবহারকারীরা অ্যাপগুলোতে একই স্তরের প্রাপ্যতা পান না। যদিও অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম ওপেন সোর্স, গুগল প্লে নয়। শুধুমাত্র অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীরা এটি ব্যবহার করতে পারবেন। আইওএসের বাজার শেয়ার ১৩.৯। % <ref>http://www.idc.com/prodserv/smartphone-os-market-share.jsp</ref> মানে IOS ব্যবহারকারীরা সংখ্যালঘু।
'''কাস্টমাইজেবিলিটি'''
IOS সোর্স কোড কোনওভাবেই ব্যবহারকারীর জন্য কাস্টমাইজযোগ্য নয়। এটি অনেককে ক্ষুব্ধ করেছে এবং জেলব্রেকিংয়ের এখন সাধারণ এবং আইনত অস্পষ্ট প্রথার দিকে পরিচালিত করেছে। এই অনুশীলনের মধ্যে রয়েছে [[ডিজিটাল অধিকার ব্যবস্থাপনা|ডিজিটাল রাইটস ম্যানেজমেন্ট (DRM)]] বিধিনিষেধ উপেক্ষা করা এবং সফটওয়্যার পরিবর্তন করা। এটি মূলত "একটি পরিবর্তিত কার্নেল প্যাচ সেট (কার্নেল অপারেটিং সিস্টেমের তত্ত্বাবধায়ক) ইনস্টল করার প্রক্রিয়া যা আপনাকে স্বাক্ষরবিহীন কোড চালানোর সুযোগ দেয়" হিসাবে ভাবা যেতে পারে। অ্যাপল উন্নত আপডেটের মাধ্যমে জেলব্রেকিং সীমিত করার চেষ্টা করেছে। অ্যাপলের সাপোর্ট পেজে জেলব্রেকিংয়ের অসুবিধাগুলো ব্যাখ্যা করা হয়েছে;
* নিরাপত্তা দুর্বলতা: আপনার ডিভাইস জেলব্রেক করলে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য এবং আপনার iOS ডিভাইস সুরক্ষিত রাখার জন্য তৈরি নিরাপত্তা স্তরগুলো দূর হয়ে যায়। আপনার iOS ডিভাইস থেকে এই নিরাপত্তা ব্যবস্থা সরিয়ে ফেলা হলে, হ্যাকাররা আপনার ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করতে পারে, আপনার ডিভাইসের ক্ষতি করতে পারে, আপনার নেটওয়ার্ক আক্রমণ করতে পারে, অথবা ম্যালওয়্যার, স্পাইওয়্যার বা ভাইরাস প্রবেশ করাতে পারে।
* অস্থিরতা: ডিভাইসের ঘন ঘন এবং অপ্রত্যাশিত ক্র্যাশ, বিল্ট-ইন অ্যাপ এবং থার্ড-পার্টি অ্যাপের ক্র্যাশ এবং ফ্রিজ, এবং ডেটা হারানো।
* ব্যাটারির আয়ু কমে গেছে: হ্যাক করা সফটওয়্যারটির কারণে ব্যাটারি দ্রুত শেষ হয়ে গেছে। এটি একবার ব্যাটারি চার্জ করলেই আইফোন, আইপ্যাড বা আইপড টাচের কাজকর্ম কমিয়ে দেয়।
* অবিশ্বস্ত ভয়েস এবং ডেটা: কল বন্ধ, ধীর বা অবিশ্বস্ত ডেটা সংযোগ, এবং বিলম্বিত বা ভুল অবস্থান ডেটা।
* পরিষেবার ব্যাঘাত: ভিজ্যুয়াল ভয়েসমেইল, আবহাওয়া এবং স্টকের মতো পরিষেবাগুলো ডিভাইসে ব্যাহত হয়েছে অথবা আর কাজ করছে না। এছাড়াও, অ্যাপল পুশ নোটিফিকেশন সার্ভিস ব্যবহারকারী তৃতীয় পক্ষের অ্যাপগুলোর বিজ্ঞপ্তি পেতে অসুবিধা হয়েছে অথবা এমন বিজ্ঞপ্তি পেয়েছে যা অন্য কোনও হ্যাক করা ডিভাইসের জন্য তৈরি। [[আইক্লাউড|iCloud]] এবং Exchange-এর মতো অন্যান্য পুশ-ভিত্তিক পরিষেবাগুলো তাদের নিজ নিজ সার্ভারের সাথে ডেটা সিঙ্ক্রোনাইজ করতে সমস্যায় পড়েছে।
* ভবিষ্যতে সফটওয়্যার আপডেট প্রয়োগ করতে অক্ষমতা: কিছু অননুমোদিত পরিবর্তন iOS-এর এমন ক্ষতি করেছে যা মেরামতযোগ্য নয়। এর ফলে ভবিষ্যতে অ্যাপল-সরবরাহকৃত iOS আপডেট ইনস্টল করার সময় হ্যাক হওয়া আইফোন, আইপ্যাড, বা আইপড টাচ স্থায়ীভাবে অকার্যকর হয়ে যেতে পারে।
'''ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা'''
আইওএস-এর ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতার জন্য অ্যাপল মূলত প্রশংসিত হয়েছে। এটি 'নান্দনিক অখণ্ডতা' এবং 'ধারাবাহিকতা' নীতির উপর নির্ভর করে অ্যাপল উল্লেখ করেছে যে নান্দনিকতার সাথে এটি সৌন্দর্য সম্পর্কে খুব বেশি কিছু নয় বরং, "একটি অ্যাপের চেহারা এবং আচরণ কতটা ভালোভাবে তার কার্যকারিতার সাথে একটি সুসংগত বার্তা পাঠায় তা বোঝায়।" "আইওএস-এর অ্যাপ স্টোরে অ্যান্ড্রয়েডের গুগল প্লে-এর তুলনায় কঠোর নির্দেশিকা রয়েছে।" এটি ইতিবাচক নাকি নেতিবাচক বৈশিষ্ট্য তা নিয়ে মতবিরোধ রয়েছে। IOS-এর 'ধারাবাহিকতা' নীতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ, সমস্ত অ্যাপই মানুষের দ্বারা পর্যালোচনা করা হয়, সম্প্রতি অ্যান্ড্রয়েডও এই বৈশিষ্ট্যটি গ্রহণ করেছে। এটিকে আইওএসের কঠোর নির্দেশিকাগুলো ইতিবাচক বলে গ্রহণযোগ্যতা হিসেবে দেখা হচ্ছে।
'''ওয়েব ব্রাউজার'''
গুগল ক্রোম এবং ফায়ারফক্সের মতো একাধিক ওপেন সোর্স ওয়েব ব্রাউজার আইওএস সহ অ্যাপ স্টোর থেকে ডাউনলোডের জন্য উপলব্ধ। তবে Safari হলো বিল্ট-ইন ইন্টারনেট ব্রাউজার, এবং তাই, খোলা যেকোনো লিঙ্ক Safari তে পুনঃনির্দেশিত হবে ব্যবহারকারীদের দ্বারা Safari প্রশংসিত এবং সমালোচিত উভয়ই হয়েছে। অ্যাপল তার ব্রাউজারগুলো (সাফারি, ক্রোম, ফায়ারফক্স ইত্যাদি) ওয়েবকিট তে চালায় তাই গতি ধারাবাহিকভাবে বেশি থাকে। 'ট্র্যাক করবেন না' বৈশিষ্ট্যটি সমর্থন করার জন্য সাফারিও প্রশংসিত হয়েছে। স্মার্টফোনের গোপনীয়তা নিয়ে উদ্বিগ্ন ব্যক্তিদের জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি বিজ্ঞাপনদাতাদের অনলাইনে আপনার ট্র্যাক করা বন্ধ করে দেয়। তবে আইওএসের মালিকানাধীন প্রকৃতির কারণে, তারা অন্যান্য ওয়েব ব্রাউজারগুলোতে এই ফাংশনের প্রাপ্যতা সীমিত করেছে, তাদের সাফারি ব্যবহারে রাজি করার একটি ধারণাগত প্রচেষ্টা হিসেবে। তৃতীয় পক্ষের ব্রাউজারগুলোতে IOS-এর আরও অনেক বিধিনিষেধ রয়েছে। যেহেতু Safari iOS-এ অন্তর্নির্মিত, তাই সিস্টেম ক্র্যাশ বিশ্বব্যাপী একাধিক ডিভাইসের বেশিরভাগ IOS ব্যবহারকারীকে প্রভাবিত করবে। ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে এই ঘটনাটি ঘটেছিল যখন কোনও ব্যবহারকারী অ্যাড্রেস বারে কিছু অনুসন্ধান করলে একটি বাগ সাফারি ক্র্যাশ করে
==== অ্যান্ড্রয়েড প্ল্যাটফর্ম নিরাপত্তা ====
'''অ্যান্ড্রয়েড নিরাপত্তা প্রতিশ্রুতি'''
অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল প্ল্যাটফর্মের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ এবং ব্যবহারযোগ্য অপারেটিং সিস্টেম হতে চায়, ঐতিহ্যবাহী অপারেটিং সিস্টেমের নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রণগুলোকে পুনঃউদ্দেশ্য দিয়ে:
* ব্যবহারকারীর ডেটা সুরক্ষিত করুন
* সিস্টেম রিসোর্স (নেটওয়ার্ক সহ) সুরক্ষিত করুন
* অ্যাপ্লিকেশন আইসোলেশন প্রদান করুন
এই লক্ষ্যগুলো অর্জনের জন্য, অ্যান্ড্রয়েড এই গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্যগুলো প্রদান করে:
* লিনাক্স কার্নেলের মাধ্যমে অপারেটিং সিস্টেম স্তরে শক্তিশালী নিরাপত্তা
* সকল অ্যাপ্লিকেশনের জন্য বাধ্যতামূলক অ্যাপ্লিকেশন স্যান্ডবক্স
* নিরাপদ আন্তঃপ্রক্রিয়া যোগাযোগ
* আবেদনপত্র স্বাক্ষর
* অ্যাপ্লিকেশন-সংজ্ঞায়িত এবং ব্যবহারকারী-প্রদত্ত অনুমতি
'''অ্যান্ড্রয়েড নিরাপত্তা সমালোচনা'''
অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ্লিকেশনগুলো একটি স্যান্ডবক্সে চলে। এটি সিস্টেমের একটি বিচ্ছিন্ন এলাকা যেখানে সিস্টেমের বাকি সংস্থানগুলোতে প্রাপ্যতা থাকে না, যদি না অ্যাপ্লিকেশনটি ইনস্টল করার সময় ব্যবহারকারী দ্বারা স্পষ্টভাবে প্রাপ্যতাের অনুমতি দেওয়া হয়। যদিও, Felt & Chin (২০১২) এর পর্যবেক্ষণ অনুযাতী, "'স্যান্ডবক্সিং' এবং অনুমতি ব্যবস্থা অ্যাপ্লিকেশনগুলোতে দুর্বলতা এবং বাগের প্রভাব কমায়। কিন্তু ডেভেলপারদের বিভ্রান্তি এবং সীমিত ডকুমেন্টেশনের ফলে অ্যাপ্লিকেশনগুলো নিয়মিতভাবে অপ্রয়োজনীয় অনুমতির অনুরোধ করে। এর ফলে এর কার্যকারিতা হ্রাস পায়"। এর উপরে, এটিও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে যে অ্যান্ড্রয়েডের ফ্র্যাগমেন্টেশন নিরাপত্তার জন্যও একটি সমস্যা। কারণ মূল অপারেটিং সিস্টেমে পাওয়া বাগের প্যাচগুলো প্রায়ই পুরানো এবং কম দামের ডিভাইসের ব্যবহারকারীদের কাছে পৌঁছায় না (কিংসলে-হিউজেস, ২০১৫)। অধিকন্তু, কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় দুর্বলতার উপর গবেষণা চালিয়েছে, যেখানে তারা এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে যে "বিক্রেতাদের প্যাচ এবং আপডেট সহ পুরানো ডিভাইসগুলোকে সমর্থন করতে ব্যর্থতার ফলে সক্রিয় ডিভাইসগুলোর সাতাশি শতাংশেরও বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে" (থমাস, বেরেসফোর্ড এবং রাইস ২০১৪)।
'''নম্বর অনুসারে অ্যান্ড্রয়েড'''
২০১৩ সালের ৩ সেপ্টেম্বরের তথ্য অনুযায়ী গুগল প্লে অ্যাপ স্টোর এক বিলিয়নেরও বেশি অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস সক্রিয় করেছে। আনুমানিক হিসাব অনুসারে, ৪০০ টিরও বেশি অ্যাপ্লিকেশন কমপক্ষে এক কোটি বার এবং ৮০০ টিরও বেশি অ্যাপ্লিকেশন কমপক্ষে পাঁচ কোটি বার ইনস্টল করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এই অ্যাপগুলো হলো গুগল প্লে অ্যাপ যার ডাউনলোড সংখ্যা অনন্য ডিভাইসে এক বিলিয়নেরও বেশি। ২০১৫ সালের ২৫শে জুন তারিখের তথ্য অনুযায়ী এই শীর্ষ বিভাগে স্থান পাওয়ার জন্য ১২টি অ্যাপ্লিকেশন রয়েছে। এগুলোর প্রতিটিই গুগল অথবা ফেসবুকের মালিকানাধীন:
# জিমেইল
# গুগল ম্যাপস
# ইউটিউব
# ফেসবুক
# গুগল সার্চ
# গুগল+
# হোয়াটসঅ্যাপ
# গুগল টেক্সট-টু-স্পিচ
# গুগল বই
# বার্তাবহ
# গুগল হ্যাঙ্গআউট
# গুগল ক্রোম
'''আইওএস প্ল্যাটফর্ম নিরাপত্তা'''
প্রতিটি iOS ডিভাইস সর্বাধিক নিরাপত্তা এবং স্বচ্ছ ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতার জন্য একসাথে কাজ করার জন্য ডিজাইন করা সফটওয়্যার, হার্ডওয়্যার এবং পরিষেবাগুলোকে একত্রিত করে। iOS কেবল ডিভাইস এবং এর ডেটাই সুরক্ষিত রাখে না, বরং সমগ্র ইকোসিস্টেমকে সুরক্ষিত রাখে, যার মধ্যে রয়েছে স্থানীয়ভাবে, নেটওয়ার্কে এবং গুরুত্বপূর্ণ ইন্টারনেট পরিষেবাগুলোর মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা যা কিছু করেন তা। iOS-এর অনেক নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য ডিফল্টরূপে সক্রিয় থাকে, তাই আইটি বিভাগগুলোকে ব্যাপক কনফিগারেশন সম্পাদনের প্রয়োজন হয় না। এবং ডিভাইস এনক্রিপশনের মতো গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্যগুলো কনফিগারযোগ্য নয়, তাই ব্যবহারকারীরা ভুল করেও সেগুলো অক্ষম করতে পারবেন না। অন্যান্য বৈশিষ্ট্য, যেমন টাচ আইডি, ডিভাইসটিকে সুরক্ষিত করা সহজ এবং আরও স্বজ্ঞাত করে ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা উন্নত করে।
'''আইওএস নিরাপত্তা প্রতিশ্রুতি'''
অ্যাপল নিরাপত্তার বিষয়টিকে কেন্দ্র করে iOS প্ল্যাটফর্মটি ডিজাইন করেছে। যখন আমরা সর্বোত্তম সম্ভাব্য মোবাইল প্ল্যাটফর্ম তৈরির লক্ষ্যে যাত্রা শুরু করি, তখন আমরা কয়েক দশকের অভিজ্ঞতা থেকে সম্পূর্ণ নতুন একটি স্থাপত্য তৈরি করি। ফলস্বরূপ, মোবাইল ডিভাইসের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে iOS একটি বড় অগ্রগতি।
আইওএস সিকিউরিটি নিম্নলিখিত বৈশিষ্ট্যগুলো প্রদান করতে চায়:
* সিস্টেম নিরাপত্তা: সমন্বিত এবং সুরক্ষিত সফটওয়্যার এবং হার্ডওয়্যার যা প্ল্যাটফর্ম
আইফোন, আইপ্যাড এবং আইপড টাচের জন্য।
* এনক্রিপশন এবং ডেটা সুরক্ষা: স্থাপত্য এবং নকশা যা ব্যবহারকারীর ডেটা সুরক্ষিত রাখে যদি
ডিভাইসটি হারিয়ে গেলে বা চুরি হয়ে গেলে, অথবা যদি কোনও অননুমোদিত ব্যক্তি এটি ব্যবহার বা পরিবর্তন করার চেষ্টা করে।
* অ্যাপ নিরাপত্তা: এমন সিস্টেম যা অ্যাপগুলোকে নিরাপদে এবং আপস ছাড়াই চালাতে সক্ষম করে
* নেটওয়ার্ক নিরাপত্তা: ট্রান্সমিশনে ডেটার প্রমাণীকরণ এবং এনক্রিপশনের মাধ্যমে শিল্প-মানক নেটওয়ার্কিং প্রোটোকল যা নিরাপদ প্রদান করে ।
* অ্যাপল পে: অ্যাপলের নিরাপদ পেমেন্ট বাস্তবায়ন।
* ইন্টারনেট পরিষেবা: মেসেজিং, সিঙ্কিং এবং ব্যাকআপ।
* ডিভাইস কন্ট্রোল: এমন পদ্ধতি যা ডিভাইসের অননুমোদিত ব্যবহার প্রতিরোধ করে এবং সক্ষম করে। এর মাধ্যমে হারিয়ে গেলে বা চুরি হয়ে গেলে দূর থেকে মুছে ফেলা হবে।
* প্রাইভেসি কন্ট্রোল: iOS এর ক্ষমতা যা লোকেশন প্রাপ্যতা নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যবহার করা যেতে পারে
'''আইওএস নিরাপত্তা সমালোচনা'''
নিরাপত্তা হুমকি মোকাবেলায় অ্যাপলের উন্মুক্ততা নিয়ে বিশেষজ্ঞ এবং সাংবাদিক উভয়ই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। বিশেষ করে তারা আশঙ্কা করছে যে অ্যাপল তার নিরাপত্তা দুর্বলতা সম্পর্কে জনসাধারণকে অবহিত করার জন্য পদক্ষেপ না নিয়ে তার ক্লায়েন্টদের বিপদে ফেলবে। তবে অ্যাপল পণ্যের নিরাপত্তা দুর্বলতা সম্পর্কে জনগণের সচেতনতার অভাব জনসাধারণকে বিভ্রান্ত করার জন্য অ্যাপলের সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। এটি বছরের পর বছর ধরে বেড়েছে (ভিয়েগা, ২০০৯)। এই সমালোচনা অ্যাপলের সময়মতো নিরাপত্তা আপডেট সহ তার পণ্যগুলো আপডেট করতে ব্যর্থতার দিকেও দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। কিছু বিশেষজ্ঞের মতে, সামগ্রিকভাবে, অ্যাপল পণ্যগুলোতে হ্যাকারদের আক্রমণ বা ভাইরাস/ম্যালওয়্যার দ্বারা সংক্রামিত হওয়ার সম্ভাবনা কম, যদিও তারা জোর দিয়ে বলেন যে এটি মূলত অ্যাপল পণ্যগুলোতে আক্রমণে হ্যাকারদের আগ্রহের অভাবের কারণে, যদিও iCloud এবং অ্যাপল ডিভাইসগুলোকে ঘিরে সাম্প্রতিক নিরাপত্তা হুমকিগুলো অন্যথার ইঙ্গিত দেয়।
২০১৩ সালের জুন মাসে দ্য গার্ডিয়ান এবং দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট উভয়ের দ্বারা ফাঁস হওয়া জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার নথি উন্মোচিত হওয়ার পর অ্যাপলের উপর আরেকটি দ্বিধা তৈরি হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। নথিগুলোতে বলা হয়েছে যে অ্যাপল আমেরিকান কোম্পানিগুলোর তালিকায় রয়েছে যারা অভিযোগ করে যে PRISM-এর সাথে সহযোগিতা করে। এটি সরকারকে গোপনে আমেরিকান কোম্পানিগুলোর দ্বারা হোস্ট করা অ-আমেরিকান নাগরিকদের ডেটা প্রাপ্যতা করার সুযোগ দেয় কোনও ওয়ারেন্ট ছাড়াই। সরকারি কর্মকর্তারা এই প্রোগ্রামের অস্তিত্ব স্বীকার করেছেন। এটি থেকে বোঝা যায় যে "এনএসএ-র ওই কোম্পানিগুলোর সার্ভারগুলোতে সরাসরি প্রবেশাধিকার রয়েছে, এবং ফাঁসের আগের বছরগুলোতে প্রোগ্রামের মাধ্যমে সংগৃহীত তথ্যের পরিমাণ দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছিল" (স্যাভেজ, ২০১৩)। অ্যাপল এই প্রোগ্রাম সম্পর্কে কোনও জ্ঞান থাকার কথা অস্বীকার করেছে।
অ্যাপল এখনও iOS নিরাপদ বলে দাবি করে। তবে iOS নিরাপত্তা সংক্রান্ত সাম্প্রতিক কেলেঙ্কারির পর অনেক ব্যবহারকারী ভিন্ন মত পোষণ করবেন। ২০১৫ সালের ২০ সেপ্টেম্বরের দিকে চিহ্নিত সর্বশেষ নিরাপত্তা সংক্রান্ত দুর্নীতির ঘটনাগুলো হলো, চীনে অবস্থিত কিছু ডেভেলপার iOS অ্যাপ স্টোরের জন্য অ্যাপ তৈরি করতে ভুল প্রোগ্রাম ব্যবহার করেছেন।<ref>http://www.macworld.co.uk/feature/iosapps/is-ipad-iphone-ios-safe-xcodeghost-what-security-software-need-3453938/</ref> ধারণা করা হচ্ছে যে ডেভেলপাররা Xcode-এর একটি নকল সংস্করণ ডাউনলোড করেছেন। কারণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে হোস্ট করা অ্যাপলের নিজস্ব সার্ভার থেকে ডাউনলোড করতে অনেক সময় লাগছিল। Xcode-এর মোট আকার প্রায় ৩.৯ গিগাবাইট। চীনা ডেভেলপাররা অ্যাপলের নিজস্ব Xcode-এর পরিবর্তে XcodeGhost ব্যবহার করছিলেন। প্রভাবিত অ্যাপগুলো চীনা হলেও সেগুলোর মধ্যে অ্যাংরি বার্ডস ২-এর মতো কয়েকটি জনপ্রিয় অ্যাপ ছিল। যদিও রোভিও নিশ্চিত করেছে যে অ্যাংরি বার্ডস ২-এর শুধুমাত্র চীনা অ্যাপ স্টোর সংস্করণটি ঝুঁকিপূর্ণ।9to5Mac অনুসারে, শীঘ্রই এর সমাধান আসছে। কিন্তু সাম্প্রতিক নিরাপত্তার কৃতিত্বের পাশাপাশি, ২০১৪ সালটি এমন একটি বছর হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে যেখানে IOS-এর নিরাপত্তা দুর্বলতা সর্বকালের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে বেশ কয়েকটি নিরাপত্তা ত্রুটি চিহ্নিত করা হয়েছিল। এর ফলে যদি ব্যবহারকারী একটি অরক্ষিত হটস্পট ব্যবহার করেন, সম্ভবত একটি ইন্টারনেট ক্যাফেতে একজন আক্রমণকারীর পক্ষে ব্যবহারকারীর ডেটা আটকানো সম্ভব হয়েছিল ।
'''সংখ্যা অনুসারে আইওএস'''
অ্যান্ড্রয়েডের পরে iOS হলো বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বাধিক জনপ্রিয় মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আইপ্যাডের বিক্রি অ্যান্ড্রয়েডের চেয়েও পিছিয়ে। যদিও ওয়েব ব্যবহারের (সকল ব্যবহারের জন্য একটি প্রক্সি) দিক থেকে আইপ্যাড (আইওএস ব্যবহার করে) এখনও সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়। ২০১২ সালের মাঝামাঝি সময়ে ৪১ কোটি ডিভাইস সক্রিয় করা হয়েছিল। WWDC ২০১৪-তে, টিম কুক বলেছিলেন, ২০১৪ সালের জুন নাগাদ ৮০০ মিলিয়ন ডিভাইস বিক্রি হয়েছে। ২৭ জানুয়ারি, ২০১৫ তারিখে অ্যাপলের ত্রৈমাসিক আয়ের আহ্বানের সময়, অ্যাপল ঘোষণা করে যে ২০০৭ সাল থেকে তারা এখন এক বিলিয়ন iOS ডিভাইস বিক্রি করেছে (শুধুমাত্র ২০১৪ সালে বিক্রি হওয়া অ্যান্ড্রয়েডের তুলনায় একটু কম)। ১৬ জানুয়ারি, ২০০৯ তারিখে, অ্যাপল তার ওয়েবসাইটে ঘোষণা করে যে ৫০ কোটি অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড করা হয়েছে। বিলিয়নতম অ্যাপ্লিকেশনটি ২৩শে এপ্রিল, ২০০৯ তারিখে ডাউনলোড করা হয়েছিল। ৩ মার্চ, ২০১২ তারিখে, ডাউনলোড করা অ্যাপের সংখ্যা ২৫ বিলিয়নে পৌঁছেছে। ৮ জুন, ২০১৫ তারিখে, অ্যাপল ঘোষণা করে যে অ্যাপ স্টোর ১০০ বিলিয়ন ডাউনলোড অতিক্রম করেছে।
ডিসেম্বর ২০১৪-এর সবচেয়ে বেশি ডাউনলোড হওয়া আইফোন এবং আইপ্যাড অ্যাপগুলোর তালিকা এখানে দেওয়া হলো: (পেইড/ ফ্রি)
# ক্ল্যাশ অফ ক্ল্যানস / অ্যাংরি বার্ডস ২
# মাইনক্রাফট / স্ন্যাপচ্যাট
# আফটারলাইট / ইউটিউব
# প্লেগ ইনকর্পোরেটেড / ফেসবুক
# স্লিপ সাইকেল অ্যালার্ম ক্লক / ইনস্টাগ্রাম
# ফেসটিউন / প্যান্ডোরা রেডিও
# কাট দ্য রোপ ২ / গুগল ম্যাপস
# ব্লুনস টিডি ৫ / ফ্লিপগ্রাম
# একটি অন্ধকার ঘর / স্পটিফাই
# ৭ মিনিট ওয়ার্কআউট চ্যালেঞ্জ / ২০৪৮
=== ওয়েব ব্রাউজার ===
==== ভূমিকা ====
[[ওয়েব ব্রাউজার]] হলো এমন অ্যাপ্লিকেশন যা একসময় ব্যবহারকারীদের ইন্টারনেট প্রাপ্যতা এবং ব্যবহার করার সুযোগ দেওয়ার জন্য ব্যবহার করা হত। কিন্তু প্রযুক্তি যত উন্নত হচ্ছে, ততই আমরা ব্রাউজারটি খোলার জন্য আরও বেশি ব্যবহার খুঁজে পাচ্ছি। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, ব্যবহারকারী ইন্টারফেস এবং এক্সটেনশনের মতো সহজ বৈশিষ্ট্যগুলো গ্রাহকদের মধ্যে সিদ্ধান্ত প্রক্রিয়ার অংশ হয়ে উঠেছে যখন তারা কোন ওয়েব ব্রাউজার ব্যবহার করবেন তা সিদ্ধান্ত নেন।
প্রথম ওয়েব ব্রাউজারটি তৈরি করা হয়েছিল কেবল WorldWideWeb (পরবর্তীতে নামটি নেক্সাসে পরিবর্তিত হয়)। [[টিম বার্নার্স-লি|স্যার টিম বার্নার্স-লি]] ১৯৯০ সালে এটি তৈরি করেন। সময়ের সাথে সাথে এবং প্রযুক্তির উন্নতির সাথে সাথে, সহজেই প্রাপ্যতাযোগ্য ব্রাউজারের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়, যার কিছুক্ষণ পরেই ১৯৯২ সালে Erwise মুক্তি পায় এবং এটি গ্রাফিক্যাল ইউজার ইন্টারফেস সহ প্রথম সাধারণভাবে প্রাপ্যতাযোগ্য ব্রাউজার ছিল। তবে ১৯৯৩ সালে [[মোজাইক (ব্রাউজার)|মোজাইক]] মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই জনসাধারণের কাছে একটি সহজে অতিক্রমযোগ্য লেআউট উপস্থাপন করা হয়েছিল, যেখানে এটি ব্যবহারকারী সকলের জন্য আরও সুগম ব্যবহারকারী ইন্টারফেসের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করা হয়েছিল। মোজাইকে বাস্তবায়িত অনেক বৈশিষ্ট্য এখনও বর্তমান জনপ্রিয় ব্রাউজারগুলোতে বিদ্যমান, যেমন উপরে একটি URL বার এবং পিছনে/ফরোয়ার্ড বোতাম।
বর্তমানে, বাজারে পাঁচটি ব্রাউজার আধিপত্য বিস্তার করছে; [[ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার]], [[মোজিলা ফায়ারফক্স|ফায়ারফক্স]], [[গুগল ক্রোম|গুগল ক্রোম,]] [[সাফারি (ওয়েব ব্রাউজার)|সাফারি]] এবং [[অপেরা (ওয়েব ব্রাউজার)|অপেরা]] । এই পাঁচটি ব্রাউজারে বেশিরভাগই কিছুটা উন্মুক্ত উৎসের। সোর্স কোডের কিছু দিক সকলের জন্য প্রাপ্যতাযোগ্য। এর একমাত্র ব্যতিক্রম ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার। এটি ১৯৯৫ সালে প্রকাশের পর থেকে সম্পূর্ণ মালিকানাধীন।
==== ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের আধিপত্য এবং পতন ====
ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার প্রথম আত্মপ্রকাশ করে ১৯৯৫ সালে যা [[মাইক্রোসফট কর্পোরেশন|মাইক্রোসফট]] দ্বারা উইন্ডোজ ৯৫ অ্যাড-অন প্যাকেজের অংশ হিসেবে তৈরি করা হয়েছিল এবং লঞ্চের সময় এটি অত্যন্ত সফল হয়েছিল। ২০০০-এর দশকের গোড়ার দিকে, ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার বাজারের বেশিরভাগ অংশ দখল করে রেখেছিল, ২০০৩ সালে ৯৫%-এ পৌঁছেছিল। তবে অন্যান্য জনপ্রিয় ওয়েব ব্রাউজারগুলোর উত্থানের সাথে সাথে, বাজারে ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের আধিপত্য এখন প্রায় হাস্যকর বলে মনে হচ্ছে, ব্রাউজারটি অনেক ইন্টারনেট রসিকতার মূল বিষয়। যদিও এটি শীর্ষ পাঁচটি সর্বাধিক ব্যবহৃত ব্রাউজারের মধ্যে রয়ে গেছে, তবুও এর জনপ্রিয়তা এবং খ্যাতি এখনও ক্ষতিগ্রস্ত এবং ক্রমাগত হ্রাস পাচ্ছে এমন ব্যবহারের পরিসংখ্যান তা প্রতিফলিত করে। <ref>http://gs.statcounter.com/#all-browser-ww-monthly-200812-201602</ref>
ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের ইতিহাসে এমন অনেক বিষয় রয়েছে যা মানুষ এর জনপ্রিয়তা হ্রাসের কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছে, যার মধ্যে কিছু বিষয় এই সত্যকে প্রতিফলিত করে যে IE প্রকৃতিগতভাবে সম্পূর্ণ মালিকানাধীন। প্রথমত, ২০০১ সালে ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের ষষ্ঠ প্রধান সংস্করণ, IE6- এর মুক্তিকে এই মুহূর্তগুলোর মধ্যে একটি বলে মনে করা হয়। [[ম্যালওয়্যার]] এবং অন্যান্য নিরাপত্তা লঙ্ঘনের বৃহৎ সমস্যা দেখা দেওয়ার সাথে সাথে, বিশেষজ্ঞরা ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার ব্যবহারকারীদের অন্যান্য নির্ভরযোগ্য ব্রাউজারে স্যুইচ করার পরামর্শ দিতে শুরু করেছেন। <ref>https://www.schneier.com/blog/archives/2004/12/safe_personal_c.html</ref> ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের একটি সাধারণ অভিযোগ হলো এই ধরণের সমস্যা আবিষ্কার করা এবং সমস্যাটি সমাধানের জন্য একটি প্যাচ প্রকাশ করার মধ্যে সময় লাগে। এটি প্রায়ই এর মালিকানাধীন প্রকৃতির কারণে হয়। এই ধরনের সমস্যা সমাধানের জন্য একটি নিবেদিতপ্রাণ দল থাকার অর্থ হলো, যখন কোনও পরিচিত সমস্যা দেখা দেয় তখন সহায়তা পাওয়া সহজ হয়, তবে নিরাপত্তার বিষয়গুলোর সমাধান খুঁজে বের করার ক্ষেত্রে, ওপেন সোর্স উপাদানগুলো প্রায়ই সম্প্রদায়গুলোকে দ্রুত সমাধান খুঁজে বের করার জন্য বিনিয়োগ করে এবং তাই তারা একটি পৃথক দলের চেয়ে দ্রুত সমাধান তৈরি এবং প্রকাশ করতে পারে।
ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের পতনের কথা বলার সময় আরেকটি আকর্ষণীয় বিবেচ্য বিষয় হলো হার্ডওয়্যার IE এর সাথে সম্পর্কিত। ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার প্রায়ই মাইক্রোসফট পণ্যের সাথে প্যাকেজ করা হয়, বিশেষ করে উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম এবং এক্সবক্স ৩৬০। তবে যখন ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার প্রাধান্য পেয়েছিল, তখন এটি আরও অনেক ডিভাইসে প্রাপ্যতাযোগ্য ছিল, বিশেষ করে [[ম্যাকিন্টশ|ম্যাকিনটোশ কম্পিউটারে]] । ম্যাকিনটোশ ব্যবহারকারীদের মধ্যে জনপ্রিয় হওয়া সত্ত্বেও, মাইক্রোসফট ঘোষণা করে যে তারা ২০০৫ সালে ম্যাকিনটোশ কম্পিউটারে ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের ডেভেলপমেন্ট বন্ধ করার পরিকল্পনা করছে। যেহেতু IE একটি মালিকানাধীন ব্রাউজার, তাই এটি ডেভেলপমেন্টের দৃষ্টিকোণ থেকে অনেক অর্থবহ। এটি উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের ডেভেলপমেন্টের উপর আরও বেশি মনোযোগ দেওয়ার সুযোগ করে দেয়। তবে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্নতার ফলে বাজারের একটি বৃহৎ অংশ সম্পূর্ণরূপে প্রাপ্যতাযোগ্য হয়ে ওঠে না, এমন একটি সমস্যা যা সফটওয়্যারটি ওপেন সোর্স হলে বিদ্যমান থাকত না। এই কোড ব্যবহারের মাধ্যমে, ম্যাকিনটোশ ব্যবহারকারীরা নিজেরাই সফটওয়্যারটি আপডেট করতে পারবেন এবং তাদের পছন্দের কম্পিউটারে চালানোর জন্য ব্রাউজারগুলো আপডেট করার পদ্ধতিগুলো বের করতে পারবেন। এই বিশেষ উদাহরণে, মনে হচ্ছে একটি ওপেন সোর্স ব্রাউজার থাকা বৃহত্তর দর্শকদের কাছে পৌঁছানোর ক্ষেত্রে আরও উপকারী।
==== ফায়ারফক্সের আধিপত্য এবং পতন ====
২০০৪ সালের শেষের দিকে, [[মোজিলা|মজিলা]] ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে মজিলা ফায়ারফক্স প্রকাশ করে। এটি সম্পূর্ণরূপে ওপেন সোর্স ওয়েব ব্রাউজার। এটি এর গতি, নিরাপত্তা এবং ব্রাউজার এক্সটেনশনের মতো নতুন বৈশিষ্ট্যগুলোর জন্য ব্যাপক প্রশংসা লাভ করে, যাকে অ্যাড-অনও বলা হয়। অধিকন্তু, ওপেন সোর্স ইন নেচার হওয়ায় ফায়ারফক্স ব্যবহারকারীদের ইন্টারনেটের সাথে কীভাবে যোগাযোগ করা যায় সে সম্পর্কে আরও স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছিল। এটি মজিলা ম্যানিফেস্টোর দ্বিতীয় দাবি "ইন্টারনেট একটি বিশ্বব্যাপী পাবলিক রিসোর্স যা উন্মুক্ত এবং প্রাপ্যতাযোগ্য থাকা উচিত" দ্বারা সবচেয়ে ভালোভাবে অনুমান করা হয়েছে। <ref>https://www.mozilla.org/en-GB/about/manifesto/</ref>
একটি ওপেন সোর্স ব্রাউজার হিসেবে, ফায়ারফক্স তৃতীয় পক্ষের ডেভেলপমেন্ট থেকে উপকৃত হয়, বিশেষ করে অ্যাড-অনগুলোর মাধ্যমে যা ব্যবহারকারীদের ব্রাউজারটি কীভাবে কাজ করে তা নিয়ন্ত্রণ করতে দেয়। ফায়ারফক্সের কোড সকলের জন্য উপলব্ধ হওয়ার সাথে সাথে, গ্রাহকদের তাদের ব্রাউজিং অভিজ্ঞতায় ইচ্ছামত বৈশিষ্ট্য যোগ করার জন্য এক্সটেনশন তৈরি করার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল, যেমন অ্যাডব্লকের মতো এক্সটেনশন ব্যবহার করে অবাঞ্ছিত বিজ্ঞাপন অপসারণ করা। আরও সুন্দরভাবে, ফায়ারফক্স কাস্টম ব্যবহারকারী থিমগুলোকেও সমর্থন করেছিল। এটি ব্যবহারকারীদের ব্রাউজারের চেহারা এবং রঙের স্কিম পরিবর্তন করার সুযোগ দেয়। এটি আরও উপযুক্ত ব্রাউজিং অভিজ্ঞতা তৈরি করে। নিরাপত্তা সমস্যার সমাধান দ্রুত খুঁজে পাওয়া যায় এবং ওপেন সোর্স প্রোগ্রামগুলো আরও সুরক্ষিত হওয়ার সাথে সাথে, ফায়ারফক্স তাৎক্ষণিকভাবে জনপ্রিয়তা অর্জন করে, বিশেষ করে তার প্রধান প্রতিযোগী ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার ৬-এর তুলনায়।
তবে ফায়ারফক্সের পরিষেবা হিসেবে একটি প্রধান সমস্যা হলো আপডেট এবং এর মধ্যে থাকা বিষয়বস্তুর ক্ষেত্রে এর নির্ভরযোগ্যতা। ফায়ারফক্সের অনেক আপডেটই ছোটখাটো প্রকৃতির এবং সম্প্রদায়-ভিত্তিক হওয়ায়, গ্রাহকদের আগ্রহের জন্য খুব কমই নতুন, বৃহৎ পরিসরের বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এর ফলে ফায়ারফক্স ব্যবহারকারীদের একটি নিবেদিতপ্রাণ সম্প্রদায় তৈরি হয়। কিন্তু নতুন ব্যবহারকারীর সংখ্যা কম হয়। যদিও ফায়ারফক্সের স্থিতিশীলতা ধারাবাহিকভাবে ভালো রয়ে গেছে, ছোটখাটো সম্প্রদায়-চালিত বাগ সংশোধনের বাইরে প্রভাবশালী উন্নতির অভাবের ফলে এর ব্যবহারের পরিসংখ্যান কিছুটা স্থবির হয়ে পড়েছে। <ref>http://www.digitaltrends.com/computing/internet-explorer-chrome-and-firefox-market-share-for-october/</ref>
==== গুগল ক্রোমের উত্থান ====
২০০৮ সালে গুগল তাদের নিজস্ব ওয়েব ব্রাউজার, গুগল ক্রোম দিয়ে ব্রাউজার যুদ্ধে প্রবেশ করে। মুক্তি পাওয়ার পর থেকে, ক্রোমের জনপ্রিয়তা কেবল বৃদ্ধি পেয়েছে, বর্তমানে এটি বাজারে আধিপত্য বিস্তার করেছে এবং ফেব্রুয়ারি ২০১৬ পর্যন্ত মোট ব্যবহারের ৪৭.৭৭% ব্যবহার রয়েছে। গুগল ক্রোম একটি ফ্রিওয়্যার, যার অর্থ এর কিছু উপাদান রয়েছে যা প্রকৃতিগতভাবে মালিকানাধীন, তবে এর বেশিরভাগ কোডই ওপেন সোর্স। এর জনপ্রিয়তার পেছনে অনেক বৈশিষ্ট্য রয়েছে, এর সহজলভ্য, ন্যূনতম ইন্টারফেস এবং গতি মাত্র কয়েকটি।
ওপেন সোর্স হওয়ায় ফায়ারফক্সের মতোই ক্রোম উপকৃত হয়েছে, ঘন ঘন আপডেট, থিম এবং ব্রাউজার এক্সটেনশনের মতো বৈশিষ্ট্যগুলো ক্রোম ব্যবহারকারীদের জন্য উপলব্ধ। যদিও ফায়ারফক্সের ওপেন সোর্স প্রকৃতি এটিকে প্রাথমিকভাবে জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি করেছিল, একই রকম বৈশিষ্ট্য এবং সুপরিচিত আইটি কোম্পানি গুগলের সাথে সংযোগ ক্রোমকে তার আধিপত্য প্রতিষ্ঠার জন্য প্রয়োজনীয় রিলিজের সময় তা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করেছিল। [[ক্রোমিয়াম (ওয়েব ব্রাউজার)|ক্রোমিয়াম]] ক্রোমের সোর্স কোডে সহজে প্রাপ্যতাের সুযোগ করে দেওয়ার ফলে, ইচ্ছুকদের আউটসোর্সিং করে ক্রোমের জন্য লিনাক্স এবং ম্যাক ওএস এক্স পোর্টের কিছু ডেভেলপমেন্ট কাজ সহজ করা হয়েছে। <ref>http://arstechnica.com/information-technology/2008/09/google-unveils-chrome-source-code-and-linux-port/</ref> এর ফলে গুগলকে ইউজার ইন্টারফেস উন্নত করার এবং ব্রাউজারের আরও ভালো বিজ্ঞাপন দেওয়ার মতো বৈশিষ্ট্যগুলোতে মনোনিবেশ করার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছিল, এই সুযোগটি কাজে লাগিয়ে যে সার্চ ইঞ্জিন গুগল তাদের ব্রাউজার প্রচারের জন্য একটি সাধারণভাবে ব্যবহৃত পরিষেবা ছিল। তাদের কোডের ওপেন সোর্সিংয়ের মাধ্যমে ঘন ঘন আপডেটের সুযোগ দেওয়া হয় এবং নির্ভরযোগ্য এবং দ্রুত পরিষেবা পাওয়া যায়, তাই গুগল ক্রোম কেন জনপ্রিয়তার দিক থেকে এগিয়ে চলেছে তা স্পষ্ট।
'''http://www.telegraph.co.uk/technology/news/9163335/Whats-behind-the-rise-of-Google-Chrome.html'''
== ওপেন সোর্স সফটওয়্যার কী? ==
ওপেন সোর্স সফটওয়্যার (OSS) হলো GNU এবং Linux এর মতো প্রোগ্রাম যা প্রোগ্রামারদের নির্দিষ্ট সফটওয়্যার সম্পাদনা এবং উন্নত করার জন্য সোর্স কোড পরিবর্তন করতে দেয়। মুইর তার ওপেন সোর্স সফটওয়্যার বইয়ে OSS কে "প্রকৃত সোর্স কোডে প্রাপ্যতা" হিসেবে সংজ্ঞায়িত করেছেন। এটি প্রায়ই GNU পাবলিক লাইসেন্সের অধীনে পাওয়া যায়। এটি প্রোগ্রামারদের সফটওয়্যার পরিবর্তন করতে এবং এটি পুনরায় বিতরণ করতে দেয়, এই প্রয়োজনে যে তারা এই পরিবর্তনগুলো অন্যান্য ডেভেলপারদের কাছে উপলব্ধ করে।" <ref>Muir, Scott P, and Leggott, Mark, eds. Open Source Software. Bradford, GBR: Emerald Group Publishing Ltd, 2005. ProQuest ebrary. Web. 5 March 2016</ref> এটিকে বিনামূল্যের সফটওয়্যার হিসাবেও পরিচিত করা যেতে পারে তবে আমি এই বাক্যাংশটি থেকে দূরে থাকব কারণ এটি 'মুক্ত বাকস্বাধীনতা'র পরিবর্তে 'মুক্ত জিনিস' ধারণার মতো বিনামূল্যের কথা উল্লেখ করে।
=== ওএসএসের ইতিহাস ===
ধারণা করা হয় যে UNIVAC ('ইউনিভার্সাল অটোমেটিক কম্পিউটার'-এর সংক্ষিপ্ত রূপ) প্রথম ওপেন সোর্স সফটওয়্যার, 'A-2 সিস্টেম' তৈরি করেছিল। এটি ১৯৫৩ সালে তৈরি করা হয়েছিল এবং সেই বছরের শেষ নাগাদ বিতরণ করা হয়েছিল। পণ্যটিতে সোর্স কোডও অন্তর্ভুক্ত ছিল যা ব্যবহারকারীদের প্রদান করা হয়েছিল যাতে তারা (যদি তারা ইচ্ছা করে) পণ্যের উন্নত সংস্করণগুলো UNIVAC-তে ফেরত পাঠাতে পারে <ref>Peter Cohan. (2009). Back to the 1970s: IBM in mainframe antitrust suit again. Retrieved march/3rd, 2016, from http://www.dailyfinance.com/2009/10/09/back-to-the-1970s-ibm-in-mainframe-antitrust-suit-again/</ref> ১৯৬০-এর দশকের আগের যুগে এটা বলা নিরাপদ ছিল যে বেশিরভাগ প্রোগ্রাম বিনামূল্যে ছিল। তবে এগুলো বিনামূল্যে ছিল না কারণ সফটওয়্যার ডেভেলপাররা গ্রাহকদের বাগ ঠিক করতে এবং পণ্যের উন্নতি ফেরত পাঠাতে সাহায্য করার ধারণাটি পছন্দ করেছিলেন যাতে পণ্যটি আরও ভালোভাবে তৈরি করা যায় (যদিও ইউনিভ্যাকের A-2 সিস্টেমটি এর দ্বারা চালিত হয়েছিল) কিন্তু কারণ সেই সময়ে প্রযুক্তি ছিল ভীতিকর এবং খুবই ভয়ঙ্কর। এর আংশিক কারণ ছিল সেই সময়ে সায়েন্স ফিকশন সিনেমার প্রযোজনাগুলোকে ভৌতিক হিসেবে দেখা হত। মানুষের মনে একটা বিরাট ভয় ছিল,যদি কোম্পানিগুলো তাদের কাজের ব্যাপারে স্বচ্ছ না হয়, তাহলে মানুষ পেছনের দরজা দিয়ে বেরিয়ে যাবে, ফলে হ্যাক করা সহজ হবে।
সময়ের সাথে সাথে প্রযুক্তি অনেক উন্নত হতে শুরু করে, এর ফলে প্রতিযোগীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পায় এবং দামও বৃদ্ধি পায়। তবে প্রতিযোগীদের সংখ্যা বৃদ্ধির অর্থ হলো নোংরা কৌশলের প্রবর্তন। এই বাজারটি একসময় একটি অলিগোপলি ছিল এবং আইবিএমের মতো কোম্পানিগুলো এটিকে এভাবেই রাখতে চাইত। ১৯৬৯ সালে কম্পিউটার বাজারের এই বৃহৎ খেলোয়াড়টির বিরুদ্ধে প্রতিযোগিতামূলক মূল্য নির্ধারণের জন্য একটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। <ref>Hopper, Grace. "Keynote Address". Proceedings of the ACM SIGPLAN History of Programming Languages (HOPL) conference</ref>
=== ওএসএস-এর সমালোচনা ===
সময়ের সাথে সাথে OSS মালিকানাধীন সফটওয়্যারের চেয়ে বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এর মূল কারণ হলো এটি বিনামূল্যে, যেখানে মালিকানাধীন সফটওয়্যারের জন্য মানুষকে অর্থ প্রদান করতে হয়। তবে এটি একটি অলাভজনক সম্প্রদায় দ্বারা তৈরি হওয়ায় এর বেশ কিছু অসুবিধা রয়েছে। মালিকানাধীন সফটওয়্যারের তুলনায় OSS ব্যবহারের অনেক সুবিধা রয়েছে। ব্যবসার জন্য প্রধান সুবিধা হলো ওপেন সোর্স হলো বাজারে প্রবেশের ক্ষেত্রে ব্যবসার জন্য আরও বেশি সাফল্য অর্জনের একটি ভালো উপায়। যখন কোনও কোম্পানি OSS ব্যবহারের পরিকল্পনা করে, তখন তারা এমন পণ্য প্রতিষ্ঠা করতে পারে যা নির্ভরযোগ্য, উচ্চমানের এবং শিল্পের মানদণ্ডের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ, যার অর্থ তারা প্রতিদ্বন্দ্বী কোম্পানিগুলোর উপর এগিয়ে থাকতে পারে। এটিকে আরও নির্ভরযোগ্য বলে মনে করা হয় কারণ এতে অনেক স্বাধীন প্রোগ্রামার (যেমন লিনাক্স) সহযোগিতা করতে পারে এবং সাধারণ প্রকাশের আগে এর বাগ এবং সমস্যাগুলো খুঁজে বের করতে পারে। রেনল্ডস, <ref>Carl; Jeremy Wyatt (February 2011). "Open Source, Open Standards, and Health Care Information Systems". JMIR 13. doi:10.2196/jmir.1521</ref> OSS এর আরেকটি সুবিধা এবং অনেক নতুন প্রযুক্তি সংস্থা এটি ব্যবহারের অন্যতম কারণ হলো এটি সস্তা এবং ব্যবহার করা সহজ। মালিকানাধীন সফটওয়্যারের বিপরীতে যেখানে ব্যয়বহুল গবেষণা এবং উন্নয়ন করতে হয়।
OSS ব্যবহারের ফলে একটি কোম্পানি তাদের ব্যবহৃত প্রযুক্তির সাথে আরও নমনীয় হতে পারে। এর ফলে একটি ব্যবসা বাজারে দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানাতে পারে এবং দ্রুত উদ্ভাবন অর্জন করতে পারে। এটি একটি ক্রমাগত অগ্রগতিশীল প্রযুক্তিগত বিশ্বে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। OSS কৌশল ব্যবহারের মাধ্যমে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান অ্যাপল এবং মাইক্রোসফটের মতো বৃহৎ কোম্পানির বিরুদ্ধে সুযোগ পায় কারণ এটি সস্তা। <ref>Sharma, Srinarayan; Vijayan Sugumaran; Balaji Rajagopalan (2002). "A framework for creating hybrid-open source software communities"</ref> OSS-এর আরেকটি সুবিধা হলো, সফটওয়্যারের ডেভেলপাররা তাদের নিজস্ব সফটওয়্যারের মতো ক্ষমতায়িত বোধ করবে, যার অর্থ তারা আরও ভালোভাবে তৈরি পণ্য তৈরি করবে কারণ একজন কর্মী তাদের নিজস্ব তৈরিতে কাজ করার জন্য আরও বেশি অনুপ্রাণিত বোধ করবে। এই মালিকানার বোধের কারণে পণ্য এবং কোম্পানির প্রতি আনুগত্য তৈরি হয়। OSS ব্যবহারকারীদের যদি দক্ষ এবং কম্পিউটারে দক্ষ হন, তাহলে বিরক্তিকর বাগ ঠিক করার জন্য পরবর্তী প্যাচের জন্য অপেক্ষা করতে হবে না।
সামগ্রিকভাবে, OSS ব্যবহার আপনার ব্র্যান্ড এবং এর অর্থ কী তা সংজ্ঞায়িত করতে সাহায্য করে। OSS কে ব্র্যান্ডগুলোর জন্য একটি ইতিবাচক ভাবমূর্তি হিসেবে দেখা হয় কারণ এটি ভেন্ডর লক-ইন (যা মালিকানাধীন লক-ইন নামেও পরিচিত) বা প্যাচের জন্য চার্জিংয়ের ধারণার বিরুদ্ধে দাঁড়ায়। যেসব কোম্পানি OSS ব্যবহার করে তারা সাধারণত ব্যবসায়িক পরিভাষা 'কাইজেন' (ক্রমাগত উন্নতি) তে বিশ্বাস করে, যার অর্থ তারা সর্বদা তাদের মূল্যবান গ্রাহকের কাছে আরও ভালো পণ্য সরবরাহ করতে চায়। এটি এই ধারণার প্রতিনিধিত্ব করে যে প্রযুক্তি মুক্ত হওয়া উচিত। আমাদের সবসময় প্রিমিয়াম মূল্য পরিশোধ করতে হবে না।
বেশিরভাগ জিনিসের মতো অনেক দুর্দান্ত সুবিধার সাথে সাথে কিছু অসুবিধাও থাকতে হবে এবং OSSও এর থেকে আলাদা নয়। গ্রাহকদের চাহিদা শোনার জন্য ডেভেলপারদের উপর বাণিজ্যিক চাপের অভাব রয়েছে। এর অর্থ হলো তারা এমন সফটওয়্যার তৈরি করবে যা গ্রাহকদের চেয়ে তাদের চাহিদা অনুসারে তৈরি করা হবে। পণ্যের গুণমান এতে কাজ করা প্রোগ্রামারদের ধরণের দ্বারাও প্রভাবিত হতে পারে। কারণ OSS-এর সাফল্য অনেকটাই দলীয় কাজের উপর নির্ভর করে। সফটওয়্যারটিতে কাজ করা কিছু প্রোগ্রামারের বিভিন্ন লক্ষ্য থাকতে পারে, সফটওয়্যার সম্পর্কে ধারণা থাকতে পারে যা একে অপরের সাথে সাংঘর্ষিক হতে পারে। ইজেল এবং সোর্সএক্সচেঞ্জের মতো বেশ কয়েকটি ওএসএস প্রকল্পে এটি ঘটেছে। <ref>Sharma, Srinarayan; Vijayan Sugumaran; Balaji Rajagopalan (2002). "A framework for creating hybrid-open source software communities"</ref> বড় কোম্পানিগুলো ওপেন সোর্স সফটওয়্যার ব্যবহার না করার একটি প্রধান কারণ হলো নিরাপত্তা ঝুঁকি। সোর্স কোড দেখানো হলে নিরাপত্তার দুর্বলতা দেখা যাবে যা ত্রুটি খুঁজে বের করা সহজ করে তুলতে পারে। বৃহৎ পরিসরে OSS প্রকল্পের ক্ষেত্রে এটি তেমন একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়, তবে একক ব্যক্তির প্রকল্পের ক্ষেত্রে বড় ধরনের নিরাপত্তা ঝুঁকি থাকতে পারে।
ওপেন সোর্স ব্যবহারের ফলে একই ধরণের জিনিসের ক্লোন তৈরি হয়। এর একটি ভালো উদাহরণ হলো মোবাইল গেম ফ্ল্যাপি বার্ড। যখন এটি সফল হয়, তখন আমরা অ্যান্ড্রয়েডে অনেক অনুরূপ কপি দেখতে পাই। যেখানে ক্লোজড সোর্স সফটওয়্যারের তাদের সফটওয়্যারে কী লাগানো হবে তার উপর বেশি নিয়ন্ত্রণ থাকে <ref>Joab Jackson. Open source vs. proprietary software. Retrieved March/4th, 2016, from http://www.pcworld.com/article/243136/open_source_vs_proprietary_software.html</ref> এর ফলে অনেক OSS প্রকল্প ক্লোন করা হয়। এর ফলে গ্রাহক নিম্নমানের সফটওয়্যারের চাপে পড়ে যান এবং ভালো সফটওয়্যার থেকে বঞ্চিত হন।
ডেভেলপাররা এতে যোগ এবং পরিবর্তন করার সাথে সাথে OSS বাস্তব সময়ে বিকশিত হতে থাকে, যার অর্থ এটি আরও উন্নত মানের হতে পারে। OSS এর সাথে সম্পর্কিত একটি সাধারণ ভুল ধারণা হলো যে এটি মালিকানাধীন সিস্টেমের তুলনায় বেশি নিরাপদ এবং ভাইরাসের ঝুঁকি কম কারণ এর বিপুল সংখ্যক ব্যবহারকারী রয়েছে যারা যেকোনো সমস্যা সমাধানের জন্য সেখানে উপস্থিত থাকে। যদিও এটি সত্য হতে পারে, তবে এটি অগত্যা এটিকে সহজাতভাবে নিরাপদ করে তোলে না। লোকেরা কোডটি দেখে। এর ফলে নিরাপত্তার দুর্বলতাগুলো সহজেই ধরা পড়ে। OSS নিরাপত্তার উপর একটি তদন্তে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে যে OSS কোডকে দৃশ্যমান করে তোলে, তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই, উৎস দৃশ্যমানতা একটি নির্দিষ্ট প্রকল্পের জন্য সৃষ্ট সামগ্রিক নিরাপত্তা ঝুঁকি বাড়াতে খুব কমই সাহায্য করে। নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা জানিয়েছেন,বেশিরভাগ পরিস্থিতিতে, উৎসের দৃশ্যমানতা প্রকল্পের স্থিতিশীলতা এবং নিরাপদ অবস্থার সম্মতিতেও সহায়তা করতে পারে।
<u>সফটওয়্যার</u> সবকিছুই একটি একক অপারেটিং সিস্টেম UNIX থেকে আসে, মূলত এটি IOS10 সহ ম্যাকের IOS সিস্টেমের ভিত্তি স্থাপন করে। এটি মূলত কোড লেখার পরিবর্তে একটি আগে থেকে তৈরি অপারেটিং সিস্টেম। যদিও এটি প্রায় প্রতিটি অপারেটিং সিস্টেমের ভিত্তি তৈরি করে, এটি খুবই 'বন্ধ'। কিন্তু এটি এই তত্ত্বের পরিপন্থী যে সবাই চায় সবকিছু উন্মুক্ত থাকুক এবং ভাগ করে নেওয়া হোক যাতে আপনি আপনার চাহিদা অনুযায়ী সফটওয়্যারটি সম্পাদনা এবং তৈরি করতে পারেন।
সহজ কথা হলো, সকলেই তাদের চাহিদা অনুযায়ী সফটওয়্যার সম্পাদনা এবং পরিচালনা করতে চায় না। এটা তাদের জন্য খুব জটিল হতে পারে অথবা তারা হয়তো আগ্রহী নাও হতে পারে। কিছু ব্যক্তি কেবল একটি সাধারণ কাজের জন্য কম্পিউটার ব্যবহার করতে চান এবং লগ ইন এবং CLU ব্যবহারের ঝামেলা মোকাবেলা করতে চান না। এই ক্ষেত্রে একটি GUI, গ্রাফিক্যাল ইউজার ইন্টারফেসই যথেষ্ট। এটি দ্রুত, সহজ এবং ব্যবহার করা সহজ। ব্যবহারকারী কী চায় তা আপনাকে বিবেচনা করতে হবে। তারা কি অফুরন্ত কোডিং চায় নাকি মেকানিক্স চায়, তবে কি এটা উন্মুক্ত নাকি বাণিজ্যিকীকরণ করা হবে?
== মালিকানাধীন সফটওয়্যার ==
=== ভূমিকা ===
মালিকানাধীন সফটওয়্যার হলো এমন সফটওয়্যার যা আইনত সম্পূর্ণরূপে এর স্রষ্টা বা স্রষ্টাদের মালিকানাধীন। সাধারণত, মালিকানাধীন সফটওয়্যারের সোর্স কোড দেখার ক্ষমতা এবং এর পরিবর্তনের উপর খুব কঠোর বিধিনিষেধ থাকে। এই সীমাবদ্ধতার কারণে, ব্যবহারকারীর প্রয়োজন অনুসারে প্রোগ্রামটি পরিবর্তন বা সংশোধন করার ক্ষমতা সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ। এই ধরণের সফটওয়্যার (যদিও কখনও কখনও বিনামূল্যে) সাধারণত শুধুমাত্র একটি ফি দিয়ে পাওয়া যায় এবং শুধুমাত্র লাইসেন্সপ্রাপ্ত কী হোল্ডাররা এর উদ্দেশ্যে সফটওয়্যারটি ব্যবহার করতে পারেন।
মালিকানাধীন সফটওয়্যার লাইসেন্স এবং লাইসেন্স চুক্তির মাধ্যমে ব্যবহৃত হয়। ডগলাস ই ফিলিপস তার "সফটওয়্যার লাইসেন্স উন্মোচিত" বইতে রূপরেখা দিয়েছেন : লাইসেন্স আইন কীভাবে সফটওয়্যার প্রাপ্যতা নিয়ন্ত্রণ করে", <ref>Phillips, DE 2009, Software License Unveiled : How Legislation by License Controls Software Access, Oxford University Press, USA, Cary, NC, USA. Available from: ProQuest ebrary. [6 March 2016].</ref> সমস্ত ব্যবহারকারী লাইসেন্স চুক্তি অনুসরণ করে এমন নির্দিষ্ট নির্দেশিকা।
এর মধ্যে রয়েছে:- "আপনি হয়তো ভেবেছেন যে আপনি কিছু কিনেছেন। কিন্তু আপনি তা করেননি। সফটওয়্যারটি লাইসেন্সপ্রাপ্ত, বিক্রি করা হয়নি।"
"আপনি এখন একটি সফটওয়্যার কোম্পানির সাথে একটি চুক্তির পক্ষ। লাইসেন্সটি আপনার এবং সফটওয়্যার প্রদানকারীর মধ্যে একটি আইনত বাধ্যতামূলক চুক্তি।"
"যদি এটি না বলে যে আপনি এটি করতে পারবেন, তাহলে আপনি পারবেন না। সফটওয়্যার প্রদানকারী আপনাকে সফটওয়্যারটি ব্যবহারের সুযোগ দেয়। কিন্তু আপনি এমন কিছু করতে পারবেন না যা লাইসেন্স স্পষ্টভাবে সুযোগ দেয় না। অবশ্যই, আপনাকে এমন কিছু করা থেকেও বিরত থাকতে হবে যা এটি স্পষ্টভাবে নিষিদ্ধ করে। উদাহরণস্বরূপ, আপনি একবারে একাধিক ব্যক্তিকে সফটওয়্যারটি ব্যবহার করতে দিতে পারবেন না; এটি পুনরায় বিক্রয় বা বিপরীত প্রকৌশলী করতে পারবেন; অথবা, যদি সফটওয়্যারটি একটি নির্দিষ্ট ধরণের শেষ ব্যবহারকারীর জন্য মনোনীত করা হয়, তাহলে সেই ধরণের শেষ ব্যবহারকারী না হয়ে এটি ব্যবহার করুন।"
"যদি আপনি এমন কিছু করেন যা এটি বলে না যে আপনি করতে পারবেন (অথবা বলে যে আপনি করতে পারবেন না), তাহলে আপনি সফটওয়্যারটি একেবারেই ব্যবহার করতে পারবেন না। সফটওয়্যারটি ব্যবহারের জন্য আপনার অনুমতি লাইসেন্স চুক্তির সমস্ত শর্তাবলী মেনে চলার উপর নির্ভরশীল, যার মধ্যে আপনার ব্যবহারকে সীমাবদ্ধ করে এমন সমস্ত শর্তাবলীও অন্তর্ভুক্ত। ফলস্বরূপ, যেকোনো শর্ত লঙ্ঘনের ফলে আপনার সমস্ত লাইসেন্স অধিকার নষ্ট হতে পারে এবং আপনি কেবল চুক্তি ভঙ্গকারীই নন, বরং কপিরাইট লঙ্ঘনকারীও হয়ে ওঠেন।"
"যদি সফটওয়্যার কোম্পানি কিছু করতে চায়, তাহলে তা করতে পারে। আপনি সফটওয়্যার প্রদানকারীকে সফটওয়্যারে পণ্য সক্রিয়করণ, পণ্য যাচাইকরণ এবং স্বয়ংক্রিয় আপডেট ফাংশন অন্তর্ভুক্ত করার জন্য নিঃশর্ত অনুমতি দেন। এই ফাংশনগুলো সফটওয়্যারে আপনার প্রাপ্যতাকে প্রভাবিত করতে পারে, এবং সম্ভাব্যভাবে আপনার কম্পিউটারে, এবং সফটওয়্যার এবং আপনার কম্পিউটার সম্পর্কে তথ্য সফটওয়্যার প্রদানকারীর কাছে প্রেরণ করতে পারে।"
"যদি সফটওয়্যারে কিছু ভুল হয়ে যায়, তাহলে তা ঠিক করার জন্য সফটওয়্যার কোম্পানির উপর নির্ভর করবেন না। আপনি সম্মত হন যে সফটওয়্যার সরবরাহকারী আপনাকে খুব কম বা কোনও ওয়ারেন্টি দেয় না এবং সফটওয়্যার ত্রুটির জন্য আপনার কাছে খুব কম বা কোনও দায়বদ্ধতা থাকবে না। আপনি আরও সম্মত হন যে সফটওয়্যার তৃতীয় পক্ষের অধিকার লঙ্ঘন করলে আপনার বিরুদ্ধে যে দাবি হতে পারে তার জন্য সফটওয়্যার সরবরাহকারী দায়ী থাকবে না।" (ফিলিপস, ২০০৯)
মুক্ত সফটওয়্যার আন্দোলন ১৯৮৩ সালে শুরু হয়েছিল। এর প্রবর্তনের পর একদল ব্যক্তি "মুক্ত সফটওয়্যার" শব্দটিকে ওপেন সোর্স সফটওয়্যার (OSS) দ্বারা প্রতিস্থাপন করার পক্ষে মত প্রকাশ করেন। এটি কর্পোরেট জগতের ক্ষেত্রে আরও সুবিধাজনক। সফটওয়্যার ডেভেলপাররা তাদের সফটওয়্যারটি একটি ওপেন সোর্স লাইসেন্স কাঠামোর মধ্যে প্রকাশ করতে চাইতে পারেন যাতে যে কেউ একই সফটওয়্যারটি তৈরি করতে পারে অথবা এর অভ্যন্তরীণ কার্যকারিতা সম্পর্কে আরও ভালভাবে বুঝতে পারে। ওপেন সোর্স সফটওয়্যারের সাহায্যে, যে কেউ এতে পরিবর্তন আনতে, নতুন অপারেটিং সিস্টেম এবং প্রসেসর আর্কিটেকচারে পোর্ট করতে সক্ষম। এটি এটিকে অন্যদের সাথে ভাগ করে নেওয়ার বা কিছু ক্ষেত্রে বাজারজাত করার সুযোগ দেয়।
=== উদাহরণ ===
প্রোপ্রাইটি সফটওয়্যারের সবচেয়ে বেশি ব্যবহারকারীদের মধ্যে একটি হলো [https://www.microsoft.com/en-gb মাইক্রোসফট কর্পোরেশন] । [[উইন্ডোজ এক্সপি]] এবং [[উইন্ডোজ ৮|উইন্ডোজ ৮ এর]] মতো অপারেটিং সিস্টেম থেকে শুরু করে বিশ্বব্যাপী প্রভাবশালী [[মাইক্রোসফট অফিস]] প্রোগ্রাম পর্যন্ত প্রতিটি সফটওয়্যারই সুরক্ষার যথাযথ ব্যবস্থা ব্যবহার করে। মালিকানাধীন প্রোগ্রামগুলোর আরও উদাহরণগুলোর মধ্যে রয়েছে; [http://www.adobe.com/ অ্যাডোবি ফ্ল্যাশ প্লেয়ার], [[আইটিউন্স|আইটিউনস]] এবং [[ম্যাকওএস|ম্যাক ওএস এক্স]] ।
=== সুবিধা ===
মালিকানাধীন সফটওয়্যার ব্যবহারের সুবিধা এবং অসুবিধা উভয়ই রয়েছে। ওপেন সোর্স সফটওয়্যার সিস্টেমের পরিবর্তে মালিকানাধীন সফটওয়্যার সিস্টেম ব্যবহারের সুবিধা হলো যে পণ্যটি ব্যবহার করার সময় আপনার যে কোনও সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে তার জন্য অনেক বেশি নিবেদিতপ্রাণ সহায়তা রয়েছে। যেহেতু মালিকানাধীন সফটওয়্যারটি কোনও কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান দ্বারা তৈরি করা হয় এবং পণ্য হিসেবে বিক্রি করা হয়, তাই কোনও সমস্যা হলে বা সিস্টেম ইনস্টল/সেট আপ করার ক্ষেত্রে যদি তাদের সাহায্যের প্রয়োজন হয়, তাহলে গ্রাহকদের জন্য সর্বদা সহায়তা পাওয়া নিশ্চিত করা কোম্পানির স্বার্থে। এটি ওপেন সোর্স সফটওয়্যার থেকে আলাদা, যেখানে একটি কমিউনিটি সাপোর্ট সিস্টেম বেশি থাকে যেখানে সঠিক সমাধান খুঁজে না পাওয়া পর্যন্ত আপনাকে বিভিন্ন সমাধান অনুসন্ধান করতে হতে পারে। মালিকানাধীন সফটওয়্যার সাধারণত ব্যবসায়িক জগতের চাহিদা পূরণের জন্য এবং বাজারের চাহিদা পূরণের জন্য তৈরি করা হয়। এই কারণে, মালিকানাধীন সফটওয়্যারে প্রায়ই ওপেন সোর্স সফটওয়্যারের তুলনায় বেশি বৈশিষ্ট্য থাকে, উদাহরণস্বরূপ, ওয়ার্ড এবং এক্সেল সহ সমস্ত [[মাইক্রোসফট অফিস]] অ্যাপ্লিকেশনগুলোকে একই সাথে একই কাজে কাজ করার জন্য একসাথে লিঙ্ক করা যেতে পারে।
=== সমালোচনা ===
মালিকানাধীন সফটওয়্যারের একটি প্রধান সমালোচনা হলো যে এই ধরণের সফটওয়্যারের বেশিরভাগই কেবল ক্রয়ের মাধ্যমে পাওয়া যায়। এই ধরণের সফটওয়্যারের দামের পরিসর সস্তা থেকে শুরু করে খুব ব্যয়বহুল পর্যন্ত হতে পারে, উদাহরণস্বরূপ, [[উইন্ডোজ ১০|Windows ১০]] £২৯.৯৯ পর্যন্ত সস্তা হতে পারে। এটি [[অ্যাডোবি ফটোশপ|Adobe Photoshop]] এর মতো অন্যান্য প্রোগ্রামের দাম £২০০০ এ কেনা যাবে। দামের এই পরিসরটি সাধারণ ব্যবহারকারীর জন্য খুবই বিরক্তিকর হতে পারে কারণ একটি কম্পিউটার প্রোগ্রামের জন্য হাজার হাজার পাউন্ড খরচ করা খুবই অযৌক্তিক বলে মনে হয়। মালিকানাধীন সফটওয়্যারের আরও একটি সমালোচনা হলো এর সোর্স কোড দেখতে এবং প্রোগ্রামের কোডিং পরিবর্তন করতে না পারা। ব্যবসায়িক জগতে বিদ্যমান চাহিদা এবং প্রয়োজনীয়তা ক্রমাগত পরিবর্তিত হচ্ছে। এই ক্রমাগত পরিবর্তনশীল পরিবেশের সাথে, মালিকানাধীন সফটওয়্যার প্রায়ই তাদের গ্রাহকদের চাহিদার সাথে তাল মিলিয়ে চলতে পিছিয়ে পড়তে পারে। এটি ওপেন সোর্স সফটওয়্যারের বাজার উন্মুক্ত করে দেয় কারণ ব্যবহারকারীরা চাইলে তাদের উদ্দেশ্য অনুসারে সফটওয়্যারের কার্যকারিতা পরিবর্তন করতে পারেন। মালিকানাধীন সফটওয়্যারে কাস্টমাইজেশন এবং স্ব-উন্নতির অভাবের কারণেই অনেক মানুষ ওপেন সোর্স সিস্টেম ব্যবহার করতে পছন্দ করে।
=== ওপেন সফটওয়্যার বনাম মালিকানাধীন সফটওয়্যার ===
ওপেন সফটওয়্যার মূলত এমন একটি সফটওয়্যার যা সকলের জন্য বিনামূল্যে এবং প্রাপ্যতাযোগ্য। এটি তাদের চাহিদা পূরণের জন্য প্রোগ্রামটি পরিবর্তন করতে দেয়। এটি অনেক কম্পিউটিং ভক্তদের বিশ্বাস করা অনেক মূল থিম এবং ধারণার একটি অনুসরণ করে। তবে একটি খুব বড় নিরাপত্তা ঝুঁকি রয়েছে এবং ওপেন সফটওয়্যার ব্যবহার করার সময় অনেক লাইসেন্সিং আইন বিবেচনায় নিতে হয়। অন্যদিকে মালিকানাধীন সফটওয়্যার আছে যা অর্থায়ন করা হয় এবং আপনাকে এর জন্য অর্থ প্রদান করতে হবে। এর একটি গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ হলো উইন্ডোজ এক্সপি। প্রায়শই মালিকানাধীন সফটওয়্যার হ্যাকারদের তাদের সিস্টেমে থাকা যেকোনো ত্রুটি বা বাগ কাজে লাগাতে বলে। কিন্তু যখন সমস্যাটি শনাক্ত করা হয়, তখন প্রায়ই তারা এই সমস্যা সমাধানের জন্য কিছু করে না। কারণ এতে অন্যান্য পক্ষের আগ্রহ থাকে। ওপেন সফটওয়্যার খুবই উপকারী কারণ এটি একাধিক ব্যক্তিকে একই জিনিসে একসাথে কাজ করার সুযোগ দেয়, যেমন এই প্রকল্পটি। এটি খুবই কার্যকর, ব্যক্তিদের অন্যদের কাজ পর্যালোচনা করার সুযোগ করে দেওয়ার ফলে আরও সমস্যা চিহ্নিত এবং সমাধান করা হবে। ব্যবহারে খুবই উপকারী, ওপেন সফটওয়্যার আপনাকে একসাথে একাধিক ব্যবহারকারী রাখার সুযোগ দেয়, তবে এটির অপব্যবহার না করা গুরুত্বপূর্ণ। কোনও বাগ-মুক্ত সফটওয়্যার নেই, এটি ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং আরও ভালোর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। প্রোপ্রাইটারি সফটওয়্যারে CLI-এর বিপরীতে GUI এবং ইন্টারঅ্যাকশন বেশি থাকে। এটি সাধারণত ওপেন সফটওয়্যারের সাথে সম্পর্কিত। একটি GUI (গ্রাফিক্যাল ইউজার ইন্টারফেস) মূলত ছবির একটি সিরিজ, একটি মেনু। এটি দ্রুত এবং সহজেই ঘুরে দেখা যায় এবং ব্যবহার করা যায়। এটি এমন ব্যবহারকারীদের জন্য খুবই উপকারী যারা কম্পিউটার শিক্ষিত নন এবং কেবল দ্রুত প্রযুক্তি ব্যবহার করতে চান।
== ওপেন সোর্স এবং মালিকানাধীন সফটওয়্যারের ভবিষ্যৎ ==
ওপেন সোর্স পূর্ব-বিদ্যমান নকশা এবং ব্লুপ্রিন্টের পরিবর্তন এবং পুনর্বণ্টনকে সর্বজনীনভাবে অবাধে উপলব্ধ করার সুযোগ দেয়। প্রোগ্রামিংয়ের ক্ষেত্রে ওপেন সোর্সের ভবিষ্যৎ নিঃসন্দেহে অনেক প্রোগ্রামার এবং ব্যবসার দ্বারা ব্যবহৃত হতে থাকবে। [http://www.zdnet.com/ ZDNet] দ্বারা পরিচালিত একটি জরিপে দেখা গেছে, ৭৮% কোম্পানি তাদের অনুশীলনে ওপেন সোর্স সফটওয়্যার ব্যবহারের সাথে খাপ খাইয়ে নিয়েছে। এটি একটি স্মরণীয় পদক্ষেপ কারণ ২০১০ সালে "ওপেন সোর্সের ভবিষ্যৎ" জরিপের প্রতিক্রিয়ায়, মাত্র ৪২% কোম্পানি বলেছিল যে তারা OSS ব্যবহার করে। ৯৩% বলেছেন যে গত বছর ধরে ওপেন সোর্সের ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়েছে অথবা স্থির রয়ে গেছে। বর্তমানে, ৬৪% কর্পোরেশন ওপেন সোর্স প্রকল্পে অংশগ্রহণ করে - যা ২০১৪ সালের তুলনায় ১৪% বেশি। ওপেন সোর্স প্রকল্পে কোম্পানিগুলোর সম্পৃক্ততার অদূর ভবিষ্যতের পূর্বাভাস ৮৮%-এ উন্নীত হবে বলে আশা করা হচ্ছে <ref>http://www.zdnet.com/article/its-an-open-source-world-78-percent-of-companies-run-open-source-software/</ref>
একজন প্রোগ্রামার হিসেবে ওপেন সোর্স সফটওয়্যারের ভবিষ্যৎ ইতিমধ্যেই তাদের দৈনন্দিন জীবনের অংশ। একজন আধুনিক প্রোগ্রামার হিসেবে, আপনার বর্তমান প্রকল্পগুলোর বেশিরভাগই ইতিমধ্যেই অন্যান্য প্রোগ্রামাররা তাদের বিনামূল্যে উপলব্ধ কোড Github-এর মতো ওয়েবসাইটে রেখে সম্পন্ন করেছেন। এর ফলে ব্যবহারকারীরা এই ওপেন সোর্স প্রকল্পগুলো ডাউনলোড এবং শেয়ার করতে পারবেন। <ref>https://github.com/github</ref> আজকাল প্রোগ্রামাররা ইতিমধ্যেই করা কোড পুনরায় লিখতে চান না। অদূর ভবিষ্যতে, প্রোগ্রামাররা কেবল ওপেন সোর্স কোডের কিছু অংশ নেবে এবং সেই প্রকল্পটিকে আরও অনেকের সাথে একত্রিত করে একটি চূড়ান্ত প্রকল্প তৈরি করবে। এটি বিভিন্ন দক্ষতা স্তরের প্রোগ্রামারদের এই ওপেন সোর্স প্রকল্পগুলো বুঝতে এবং বাস্তবায়ন করতে সাহায্য করে, এছাড়াও প্রোগ্রামারদের একটি প্রকল্প সম্পূর্ণ করার জন্য সময় এবং অর্থ সাশ্রয় করে।
ওপেন সোর্স সফটওয়্যারের ভবিষ্যৎ আমাদের সমাজের প্রযুক্তির অগ্রগতির উপর নাটকীয় প্রভাব ফেলবে। এর একটি উদাহরণ হতে পারে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি হেডসেট, ওকুলাস রিফট। এই হেডসেটের সম্পূর্ণ সোর্স কোড ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে জনসাধারণের জন্য প্রকাশ করা হয়েছিল। <ref>http://www.forbes.com/sites/jasonevangelho/2014/01/10/rumor-oculus-rift-will-launch-summer-2014-for-less-than-499/#fe6788046985</ref> এই হেডসেটটি সম্পূর্ণরূপে ওপেন সোর্স হওয়ার পর এই পণ্যটির অগ্রগতি অসাধারণ। ২০১৪ সালে ওকুলাস রিফটসের সোর্স কোড প্রকাশের পর এটি স্যামসাং গিয়ার ভার্চুয়াল রিয়েলিটি হেডসেটের মতো নতুন ভার্চুয়াল রিয়েলিটি হেডসেটগুলো বুঝতে এবং তৈরি করতে সহায়তা করেছে। <ref>http://www.samsung.com/uk/consumer/mobile-devices/wearables/gear/SM-R320NPWABTU</ref>
বিল গেটস ১৯৯৪ সালের পর জন্মগ্রহণকারী শিশুদের ইন্টারনেটের সাথে বেড়ে ওঠা প্রথম প্রজন্ম হিসেবে উল্লেখ করেছেন। ১০-১২ বছর বয়সী ৯০% শিশু অনলাইন গেম খেলে। <ref>https://hbr.org/2012/04/the-mobile-re-generation</ref> যেহেতু এই শিশুদের মধ্যে প্রযুক্তি তাদের জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ, তাই এখন অনেক স্কুলে প্রোগ্রামিং শেখানো হচ্ছে। শিশুদের প্রোগ্রামিং দক্ষতা বিকাশের জন্য এখন প্রোগ্রামিং ক্লাব প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। <ref>http://coderdojostirling.com/</ref> এর থেকে বোঝা যায়,প্রযুক্তির ব্যবহার বছরের পর বছর ধরে বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে ওপেন সোর্সের ব্যবহারও বৃদ্ধি পাবে। সকল বয়সের শিশুরা তাদের নিজস্ব আনন্দের জন্য প্রকল্পগুলো সম্পন্ন করার জন্য ওপেন সোর্স সফটওয়্যার ব্যবহার করে। এখন স্কুলে শিশুরা প্রোগ্রামিং শিখছে, তাই অনলাইন ইন্টারেক্টিভ প্রোগ্রামিং ক্লাসগুলো ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। <ref>https://www.codecademy.com/learn</ref> বেশিরভাগ মানুষের কাছে ইন্টারনেট সহজলভ্য হওয়ার সাথে সাথে, এই ইন্টারেক্টিভ প্রোগ্রামিং ক্লাসের ব্যবহার ক্রমশ বৃদ্ধি পাবে। এর অর্থ হলো, যত বেশি মানুষ প্রোগ্রামিং শিখবে, ওপেন সোর্সের ব্যবহার তত বাড়বে।
'ওপেন সোর্স গ্রাহক এবং ব্যবসার মধ্যে স্বাধীনতা প্রদান করে', <ref>http://open-source.gbdirect.co.uk/migration/benefit.html#flexibilityfreedom</ref> কিছু মালিকানাধীন সফটওয়্যার নমনীয় বলে দাবি করে কিন্তু নমনীয়তা সৃজনশীলতাকে বোঝায় এবং ওপেন সোর্স সফটওয়্যার ব্যবহারের মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা কোনও সীমা ছাড়াই তাদের নিজস্ব প্রয়োজনের জন্য নিজস্ব সফটওয়্যার তৈরি করতে পারে। ওপেন সোর্স সফটওয়্যার ব্যবহারকারীদের নিয়ন্ত্রণে থাকতে, তাদের নিজস্ব সিদ্ধান্ত নিতে এবং তারা যা চায় তা করতে সাহায্য করে। <ref>http://www.pcworld.com/article/209891/10_reasons_open_source_is_good_for_business.html</ref> আজকাল মানুষ জানে তারা কী চায় এবং কীভাবে তারা কাজ করতে চায়, এবং প্রযুক্তি আমাদের জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে ওঠার সাথে সাথে ওপেন সোর্স সফটওয়্যারের ব্যবহারও বৃদ্ধি পাবে।
মানুষ এমন ব্যক্তি যারা নিজের সিদ্ধান্ত নিতে এবং স্বাধীনভাবে কাজ করতে পছন্দ করে এবং ওপেন সোর্স এই ধারণাকে সম্পূর্ণরূপে সমর্থন করে। ওপেন সোর্সের ভবিষ্যৎ খুবই ইতিবাচক দেখাচ্ছে; বর্তমানে এটি ইতিমধ্যেই প্রযুক্তিগত জীবনযাত্রার একটি সমন্বিত অংশ। সাধারণত, আজকাল উৎপাদিত প্রতিটি সফটওয়্যারের উন্নয়নে ওপেন সোর্স সফটওয়্যার ব্যবহার করা হয়। বছরের পর বছর ধরে প্রযুক্তিগত অগ্রগতি ওপেন সোর্স সফটওয়্যার ব্যবহারের দ্বারা ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হয়েছে। কারণ প্রতিটি প্রোগ্রামারের হাতে বিশাল ডেভেলপার রয়েছে। এছাড়াও ১৯৯৪ সালের পরে জন্ম নেওয়া শিশুদের দৈনন্দিন জীবনে এখন প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু হয়েছে, তাদের ছোটবেলা থেকেই প্রোগ্রামিং শেখানো হচ্ছে এবং ব্যক্তিরা অনলাইনে ইন্টারেক্টিভ প্রোগ্রামিং ক্লাসেও অংশগ্রহণ করছে। প্রযুক্তির ক্রমাগত অগ্রগতি এবং ব্যবহারের সাথে সাথে এটি অনিবার্য যে সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্টের ক্ষেত্রে ওপেন সোর্স ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হবে কারণ এর অনেক সুবিধা রয়েছে। ভবিষ্যতেও ওপেন সোর্স ব্যবহার অব্যাহত থাকবে, তবে ওপেন সোর্স ইতিমধ্যেই প্রযুক্তিগত উন্নয়নের একটি সমন্বিত অংশ। '''ভবিষ্যৎ এখানেই।'''
== শব্দকোষ ==
== শব্দকোষ ==
সমস্ত শর্তাবলী ইন্টারনেট অফ এভরিথিংয়ের উপরের অধ্যায় থেকে নেওয়া হয়েছে। সমস্ত সংজ্ঞা উইকিপিডিয়া এবং অক্সফোর্ড অভিধান থেকে নেওয়া হয়েছে।
4Chan 4chan একটি ইংরেজি ভাষার ইমেজ বোর্ড ওয়েবসাইট। ব্যবহারকারীরা সাধারণত বেনামে পোস্ট করেন, সাম্প্রতিকতম পোস্টগুলি বাকিগুলির উপরে প্রদর্শিত হয়। 4chan তাদের নিজস্ব নির্দিষ্ট সামগ্রী এবং নির্দেশিকা সহ বিভিন্ন বোর্ডে বিভক্ত। রেজিস্ট্রেশনের প্রয়োজন হয় না, বা এটি সম্ভব নয় (স্টাফ ব্যতীত)।
অ্যান্ড্রয়েড একটি অপারেটিং সিস্টেমের নাম, প্রধানত ম্যাক নয় এমন ডিভাইসগুলিতে ব্যবহৃত হয়।
অনামী অ্যানোনিমাস অ্যাক্টিভিস্ট এবং হ্যাক্টিভিস্ট সত্তাগুলির একটি আলগাভাবে যুক্ত আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক। এই গোষ্ঠীর সাথে নামমাত্র যুক্ত একটি ওয়েবসাইট এটিকে "একটি ইন্টারনেট সমাবেশ" হিসাবে বর্ণনা করে "একটি খুব আলগা এবং বিকেন্দ্রীভূত কমান্ড কাঠামো যা নির্দেশের পরিবর্তে ধারণার উপর কাজ করে"
লেখক লেখার পেশা, লেখার উৎস (লেখক হিসাবে) লেখা, সঙ্গীত বা শিল্পের একটি অংশ।
ক্রিয়েটিভ কমন্স ক্রিয়েটিভ কমন্স একটি অলাভজনক সংস্থা যা বিনামূল্যে আইনি সরঞ্জামগুলির মাধ্যমে সৃজনশীলতা এবং জ্ঞান ভাগ করে নেওয়া এবং ব্যবহার সক্ষম করে।
জ্ঞানীয় লোড ওয়ার্কিং মেমরিতে ব্যবহৃত মানসিক প্রচেষ্টার পরিমাণ।
কাস্টমাইজেবিলিটি আপনাকে আপনার প্রয়োজন অনুসারে কিছু কাস্টমাইজ এবং সম্পাদনা করার অনুমতি দেওয়ার কাজ।
ডারউইন ওপেন সোর্স ইউনিক্স অপারেটিং সিস্টেম যা অ্যাপল দ্বারা নির্মিত এবং ২০০০ সালে মুক্তি পায়।
বিকেন্দ্রীকরণ একটি কেন্দ্রীয় অবস্থান বা কর্তৃপক্ষ থেকে দূরে ফাংশন, ক্ষমতা, মানুষ বা জিনিস পুনরায় বিতরণ বা ছড়িয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া।
ডিজিটাল রাইটস ম্যানেজমেন্ট (DRM) বিভিন্ন প্রাপ্যতা কন্ট্রোল প্রযুক্তি যা মালিকানাধীন হার্ডওয়্যার এবং কপিরাইটযুক্ত কাজগুলির ব্যবহার সীমাবদ্ধ করতে ব্যবহৃত হয়।
একটি নির্দিষ্ট শাসক বা সরকার দ্বারা মালিকানাধীন বা নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলের একটি এলাকা ডোমেন
গুটেনবার্গ ছাপাখানার স্রষ্টা।
হ্যাকার একজন ব্যক্তি যিনি ডেটাতে অননুমোদিত প্রাপ্যতা অর্জনের জন্য কম্পিউটার ব্যবহার করেন।
হ্যাক্টিভিজম হ্যাক্টিভিজম হ'ল রাজনৈতিক বা সামাজিকভাবে অনুপ্রাণিত উদ্দেশ্যে হ্যাকিং বা কম্পিউটার সিস্টেমে প্রবেশ করার কাজ। যে ব্যক্তি হ্যাক্টিভিজমের কাজ করে তাকে হ্যাক্টিভিস্ট বলা হয়।
হার্ডওয়্যার বস্তু যা বাস্তব। এটি আপনি শারীরিকভাবে স্পর্শ করতে এবং সরাতে পারেন। কম্পিউটার হার্ডওয়্যার স্পিকার, কীবোর্ড ইত্যাদি নিয়ে গঠিত।
ল্যাম্প একটি অ্যাব্রেভিয়েশন যা একটি কম্পিউটারের অপারেটিং সিস্টেমকে কভার করে। লিনাক্স, অ্যাপাচি, মাইএসকিউএল, পিএইচপি।
লিনাক্স সফটওয়্যারটির একটি অংশ যা ওপেন সোর্স এবং আপনাকে নিজের অপারেটিং সিস্টেমটি সম্পূর্ণ করতে এবং লিখতে সক্ষম করে। অপারেটিং সিস্টেম ইউনিক্সের ভিত্তি ব্যবহার করে।
মেমস একটি প্রযুক্তি যা তার সবচেয়ে সাধারণ আকারে ক্ষুদ্র যান্ত্রিক এবং ইলেক্ট্রো-মেকানিক্যাল উপাদান (যেমন, ডিভাইস এবং কাঠামো) হিসাবে সংজ্ঞায়িত করা যেতে পারে যা কৌশলগুলি ব্যবহার করে তৈরি করা হয় মাইক্রো ফ্যাব্রিকেশন।
মাইক্রোসফট অফিস মাইক্রোসফট অফিস সিস্টেম মাইক্রোসফট দ্বারা তৈরি কম্পিউটার প্রোগ্রামগুলির একটি সংগ্রহ। প্রোগ্রাম সব ব্যবহারকারীর জন্য তৈরি করা হয়। হোম ব্যবহারকারীদের জন্য এবং ব্যবসায়িক ব্যবহারকারীদের জন্য সফটওয়্যারটির বিভিন্ন সংস্করণ রয়েছে।
নাসা ন্যাশনাল অ্যারোনটিক্স অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন।
ই এম এর নির্মাতারা যারা নিজের নামে এবং ব্র্যান্ডিংয়ের অধীনে অন্য সংস্থার পণ্য পুনরায় বিক্রয় করে।
ওপেন অফিস একটি ওপেন সোর্স অফিস প্রোডাক্টিভিটি স্যুট। সফটওয়্যার মাইক্রোসফট উইন্ডোজ, অ্যাপল ম্যাকস এবং লিনাক্স সহ সমস্ত প্রধান অপারেটিং সিস্টেমের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
ওপেন সোর্স এমন সফটওয়্যার নির্দেশ করা যার জন্য মূল উত্স কোডটি বিনামূল্যে উপলব্ধ করা হয়েছে এবং পুনরায় বিতরণ এবং সংশোধন করা যেতে পারে।
মেরুকরণ সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে (একটি ট্রান্সভার্স তরঙ্গ, বিশেষত আলো) এর কম্পনকে এক দিকে সীমাবদ্ধ করুন।
গোপনীয়তা এমন একটি রাষ্ট্র যেখানে কেউ অন্য লোকেদের দ্বারা পর্যবেক্ষণ বা বিরক্ত হয় না।
মালিকানা সফটওয়্যার যা কোনও ব্যক্তি বা সংস্থার মালিকানাধীন (সাধারণত এটি বিকাশকারী)। এর ব্যবহারের উপর প্রায় সর্বদা বড় বিধিনিষেধ রয়েছে এবং এর উত্স কোডটি প্রায় সর্বদা গোপন রাখা হয়।
সার্ভার একটি কম্পিউটার বা কম্পিউটার প্রোগ্রাম যা একটি নেটওয়ার্কে একটি কেন্দ্রীভূত সম্পদ বা পরিষেবা প্রাপ্যতা পরিচালনা করে।
সফটওয়্যার একটি কম্পিউটার দ্বারা ব্যবহৃত প্রোগ্রাম এবং অন্যান্য অপারেটিং তথ্য।
সিস্টেম একটি প্রক্রিয়া বা একটি আন্তঃসংযোগকারী নেটওয়ার্কের অংশ হিসাবে একসাথে কাজ করা জিনিসগুলির একটি সেট; একটি জটিল সমগ্র।
টেলিটেক্সট পাঠ্য এবং গ্রাফিক্স আকারে একটি সংবাদ এবং তথ্য পরিষেবা, উপযুক্ত রিসিভার সহ টেলিভিশনগুলিতে বিদ্যমান টেলিভিশন চ্যানেলগুলির অতিরিক্ত ক্ষমতা ব্যবহার করে প্রেরণ করা হয়।
fh5sqguz8samokkvm5kyg94yvjwea26
85811
85806
2025-07-07T23:09:07Z
MS Sakib
6561
85811
wikitext
text/x-wiki
= ওপেন সোর্স এবং মালিকানাধীন প্রযুক্তি =
== ভূমিকা ==
[[সবকিছুর জন্যেই ইন্টারনেট?|"সবকিছুর জন্যেই ইন্টারনেট?"]] উইকিবইয়ের এই অধ্যায়ে [[উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যার|উন্মুক্ত উৎসের]] এবং মালিকানাধীন প্রযুক্তির মূল ধারণাগুলো অন্বেষণ করা হবে। ১৯৭০-এর দশকে শুরু হওয়া এই দুই ধরণের সফটওয়্যারের ঐতিহাসিক বিকাশ তাদের স্রষ্টা, অবদানকারী এবং তৈরি প্রযুক্তিগত পণ্যের রেফারেন্সের সাথে পরীক্ষা করা হবে। ১৯৮০ এবং ১৯৯০ এর দশকে উন্নয়ন অব্যাহত থাকার সাথে সাথে [[হ্যাকার সংস্কৃতি|'হ্যাকারদের']] ব্যাপকতা এবং গুরুত্ব আরও প্রাসঙ্গিক হয়ে ওঠে। বিষয়কে ঘিরে নৈতিক যুক্তিগুলোও তাই। এই অধ্যায়ে দুটি বিপরীতমুখী সফটওয়্যারের পরিপ্রেক্ষিতে মেধাস্বত্ব বা [[মেধাস্বত্ব|কপিরাইট]] এবং [[ক্রিয়েটিভ কমন্স লাইসেন্স|ক্রিয়েটিভ কমন্সের]] ধারণাগুলোও বিশ্লেষণ করা হবে। দুটি ভিন্ন সফটওয়্যারের গভীর বিশ্লেষণের মাধ্যমে তাদের ক্ষমতার সুবিধা এবং অসুবিধা সম্পর্কে আলোচনা করা হবে। ওপেন সোর্স এবং মালিকানাধীন সফটওয়্যারের এই ভিত্তিগত গবেষণা ব্যবহার করে এই অধ্যায়টি দুটি সফটওয়্যারের সমসাময়িক উদাহরণ, তাদের অ্যাপ্লিকেশন এবং একই সাথে একাধিক প্ল্যাটফর্মে কাজ করার ক্ষেত্রে তাদের কার্যকারিতা সম্পর্কিত বিতর্কগুলো পর্যালোচনা করা হবে।
== উন্মুক্ত ও মালিকানাধীন সফটওয়্যারের ইতিহাস ==
একজন লেখক এবং লেখকত্বের সারমর্ম হোমার প্রবর্তন করেছিলেন। আগেরকার গল্পগুলো মুখে মুখে বলে পরিবেশিত হত। ফলে মূল দুটি গল্প কখনও হুবুহু এক হতো না। "বার্ড"দের পরিবেশিত এসব গল্পে উন্মুক্ত বাক্যাংশ ব্যবহার করে একটি গল্পের ভিত্তি তৈরি করা হতো। তবে প্রতি দুইটি গল্প একই হতো কিনা, তা এখানে নিশ্চিত করা হতো না।
হোমারই প্রথম ব্যক্তি যিনি কাগজে কলম লাগিয়ে একটি প্রতিলিপি তৈরি করেছিলেন। এর একটি প্রধান উদাহরণ হলো '[[w:ওডিসি|দ্য ওডিসি]]'। এই নতুন ধারণাটি চালু হওয়ার সাথে সাথে হোমার একটি কাল্পনিক জগতকে বৈধতা দিয়েছিলেন। একজন লেখক হওয়ার সাথে সাথেই লেখা বিতরণের চারপাশে একটি সৃজনশীল শিল্প শুরু হয়। লেখার পিছনে কেন আমাদের প্রক্রিয়া আছে এবং কীভাবে সেগুলো কাজ করে এবং বিতরণ করা হয়, সে সম্পর্কে লেখকরা গুরুত্বপূর্ণ। হোমার কপিরাইট আইন এবং রয়্যালটিগুলোতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।
হোমার প্রতিলিপি লেখার আদর্শ প্রবর্তন করার পর স্পষ্ট হয়ে ওঠে, এর কপি ছিল সীমিত। কারণ প্রতিটি কপি হাতে লিখতে হত। প্রায়ই এসব তৈরি করতে কয়েক মাস পর্যন্ত সময় লাগত। এরপর গুটেনবার্গ ১৫০০ সালের দিকে প্রথম ছাপাখানা চালু করেন। এর ফলে কপি করা দ্রুততর হয় এবং লেখকদের পাঠক সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। শেক্সপিয়র মূলত এভাবেই খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। কারণ তিনি দ্রুত ধারাবাহিকভাবে প্রচুর প্রতিলিপি তৈরি করতে সক্ষম হয়েছিলেন। তবে আধুনিক সমাজে আমরা এই যুগান্তকারী আবিষ্কারটিকে হালকাভাবে নিই। কারণ আমরা কোনও দ্বিধা ছাড়াই মূল মালিককে এর রয়্যালটি বা স্বীকৃতি না দিয়েই কোনও কাজের অনুলিপি তৈরি করতে পারি।
বিভিন্ন প্রতিলিপি প্রাপ্যতা করার দ্রুততার কারণে, একটি রেজিস্টার বাস্তবায়ন করা হয়েছিল যাতে কেবলমাত্র নির্দিষ্ট কিছু প্রত্যয়িত ছাপাখানাগুলোকে কেবল নির্দিষ্ট প্রতিলিপি মুদ্রণের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। তাদের একটি নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে মুদ্রণের অনুমতিপ্রাপ্ত সংখ্যার উপরও একটি সীমা ছিল। লেখক যাতে তাদের শ্রেষ্ঠ রচনাগুলোর জন্য খ্যাতি এবং বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করতে পারেন, সেজন্য এটি চালু করা হয়েছিল। স্পষ্টতই এটি ১৫০০ এর দশকের মধ্যে এবং তার পরেও ব্যবহৃত হয়েছিল। আজকের আধুনিক যুগে আমরা লেখকত্ব এবং রয়্যালটি সমর্থন করার জন্য ক্রমাগত কপিরাইট আইন প্রয়োগ করছি।
=== <u>১৯৮০ সালের পূর্ববর্তী</u> ===
==== ইউনিক্স ====
বলা হয় [http://www.unix.org/ ইউনিক্স] হলো কম্পিউটিংয়ের প্রযুক্তিগত অগ্রগতির সূচনা। ১৯৭০-এর দশকের গোড়ার দিকে এটি ছিল সি প্রোগ্রামিং ভাষায় লেখা প্রথম অপারেটিং সিস্টেম। এর মূল স্রষ্টা কেন থম্পসন এবং ডেনিস রিচি ছিলেন বলে বিশ্বাস করা হয়।<ref>http://www.unix.org/what_is_unix/history_timeline.html</ref> এটি ছিল প্রথম ওপেন সোর্সড অপারেটিং সিস্টেম যা যে কেউ বিনামূল্যে যোগ করতে, উন্নত করতে এবং উন্নত করতে পারত।<ref>http://www.unix.org/what_is_unix.html</ref> লিনাক্স সহ এখন পর্যন্ত বেশিরভাগ অপারেটিং সিস্টেমের ভিত্তি ইউনিক্স।
=== <u>১৯৮০–১৯৮৯</u> ===
==== ইউজনেট ====
ওপেন সোর্স এবং মালিকানাধীন প্রযুক্তির সূচনা ১৯৮০ এর দশকের আগেই শুরু হয়েছিল। কিন্তু এই সময়ের আগে খুব বেশি কিছু সহজলভ্য ছিল না। কারণ ১৯৮০ সালের আগে [https://en.usenet.nl/ ইউজনেটের] আগমন ঘটেনি। বিশ্বব্যাপী ভাগাভাগি এবং সহযোগিতার প্রথম উপায় ছিল ইউজনেট। ইউজনেট প্রকাশের সাথে সাথে এটি ওপেন সোর্স তথ্য ভাগাভাগি এবং ফাইল ভাগাভাগি উভয়েরই সূচনা করে।
==== গ্নু প্রকল্প/মুক্ত সফটওয়্যার আন্দোলন ====
ওপেন সোর্স এবং মালিকানাধীন সফটওয়্যারের পরবর্তী ঐতিহাসিক মুহূর্ত ছিল রিচার্ড স্টলম্যানের দ্বারা গ্নু প্রকল্পের ভূমিকা। [https://www.gnu.org/ গ্নু] হলো ব্যবহারকারীদের স্বাধীনতাকে সম্মান করার আরেকটি অপারেটিং সিস্টেম প্রকল্প যা বিভিন্ন ওপেন সোর্স প্রোগ্রাম দ্বারা করা হয়েছে যা গ্নু সফটওয়্যার নিজেই তৈরি করে না। যখন গ্নু তৈরি হয়েছিল, তখন [http://www.gnu.org/philosophy/free-software-intro.en.html "মুক্ত সফটওয়্যার আন্দোলন"] শুরু হয়েছিল। মুক্ত সফটওয়্যার আন্দোলনের ধারণা হলো কম্পিউটার ব্যবহারকারীদের একটি সম্প্রদায় গঠনের স্বাধীনতা প্রাপ্য।
==== ৩৮৬বিএসডি ====
১৯৮০-এর দশকের শেষের দিকে [http://www.386bsd.org/ 386বিএসডি-এর] কাজ শুরু হয়। ৩৮৬বিএসডি "জোলিক্স" নামেও পরিচিত। এটি ইউনিক্স থেকে আসা আরেকটি বিনামূল্যের অপারেটিং সিস্টেম। এটি ঐতিহাসিক মুহূর্তগুলোর আরেকটি অগ্রগতি কারণ এটি পরবর্তীতে Freeবিএসডি এবং Netবিএসডি-এর দিকে পরিচালিত করে।
=== <u>১৯৯০-১৯৯৯</u> ===
==== লিনাক্স ====
এই দশকটি ওপেন সোর্স এবং মালিকানাধীন সফটওয়্যারকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করেছে। অগ্রগতির পাশাপাশি, ১৯৯১ সালে লিনাস টরভাল্ডস লিনাক্স তৈরির সিদ্ধান্ত নেন। এটি গ্নু অপারেটিং সিস্টেমের উপর অগ্রসর হয়, যাতে একটি সম্পূর্ণ বিনামূল্যের এবং ওপেন সোর্স অপারেটিং সিস্টেম প্রদান করা যায়। লিনাক্সের প্রতিষ্ঠাতা ইউনিক্সের নিজস্ব সংস্করণ তৈরি করেছিলেন। তিনি নিজের অপারেটিং সিস্টেম তৈরি করতে চেয়েছিলেন, তবে আপনি কল্পনা করতে পারেন যে দশ মিলিয়ন লাইন কোড লিখতে কতটা সময় লাগবে, তাই তিনি ইন্টারনেটে তার দৃষ্টিভঙ্গি ভাগ করে নেন এবং ফলস্বরূপ অনেক কম্পিউটার উৎসাহী এতে যোগ দেন। মূলত এটি ছিল একটি কম্পিউটিং সিস্টেম যা যে কেউ তৈরি এবং ব্যবহার করতে সক্ষম। অপারেটিং সিস্টেমটিকে একই সাথে বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম এবং মাল্টিমিডিয়ামে সংহত করা একটি চ্যালেঞ্জ ছিল। যাইহোক, একবার কার্নেল, অপারেটিং সিস্টেমের ভিত্তি তৈরি হয়ে গেলে, বাকিগুলো পালাক্রমে অনুসরণ করা হয়।
==== লাল টুপি ====
১৯৯৩ সালে [https://www.redhat.com/en/open-source রেড হ্যাটের] প্রতিষ্ঠা ঘটে। রেড হ্যাট একটি লিনাক্স ডিস্ট্রিবিউশন ভিত্তিক কোম্পানি। এটি প্রমাণ করে যে ওপেন সোর্স সফটওয়্যার অত্যন্ত লাভজনক হতে পারে। তারা তাদের নীতিবাক্য পূরণ করার চেষ্টা করে:<div align="center">
<small>"প্রতিটি সমাধান শুরু হয় সমস্যা ভাগ করে নেওয়ার মাধ্যমে। প্রযুক্তি উন্মুক্তভাবে সমৃদ্ধ হয়, যেখানে মানুষ তাদের ধারণা ভাগ করে নেওয়ার এবং অন্যদের কাজের উপর ভিত্তি করে গড়ে তোলার জন্য স্বাধীন।"</small>
<small>"সৃষ্টি সর্বদা সহযোগিতার একটি কাজ" </small>
</div>
==== MySQL/Java 1.0 ====
১৯৯৫ সালে [https://www.mysql.com/ মাইএসকিউএল] এবং প্রথম [https://java.com/en/ জাভা] সোর্স প্রোগ্রামিং ভাষা উভয়ই প্রকাশিত হয়েছিল। মাইএসকিউএল হলো একটি ওপেন-সোর্স রিলেশনাল ডাটাবেস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম। এটি ISAM ভাষার উপর ভিত্তি করে তৈরি। জাভা ১.০ এর প্রথম পাবলিক রিলিজটিও ১৯৯৫ সালে [https://www.oracle.com/sun/index.html?PHPSESSID=8fd76773d26875481e097a4a27c7a6a1 সান মাইক্রোসিস্টেমস] দ্বারা প্রকাশিত হয়েছিল। ২০০৬ সালে OpenJDK চালু হওয়ার পর সান মাইক্রোসিস্টেম সমস্ত জাভা প্যাকেজ ওপেন সোর্সড প্রোগ্রাম তৈরি করে।<div align="center">
<small>জাভা ১.০ প্রতিশ্রুতি দিয়েছে "একবার লিখুন, যেকোনো জায়গায় চালান</small>
</div>
==== অ্যাপাচি ====
পরবর্তীতে দশকের শেষের দিকে আমরা [https://httpd.apache.org/ অ্যাপাচি প্রকাশের মাধ্যমে আরও অগ্রগতি দেখতে পাই।] অগ্রগতি স্থবির হয়ে পড়ার পর NCSA HTTPd সার্ভারগুলোতে সম্প্রসারণের প্রয়াসে অ্যাপাচি-র উপর ভিত্তি তৈরি করা হয়েছিল অ্যাপাচি হলো একটি অবাধে উপলব্ধ ওয়েব সার্ভার। এটি একটি ওপেন সোর্স লাইসেন্সের অধীনে বিতরণ করা হয়।
==== নেটস্কেপ ====
১৯৯৮ সালে [http://isp.netscape.com/ নেটস্কেপ] তাদের ওয়েব ব্রাউজার ওপেন সোর্স করে দেয়। মজিলা হলোনেটস্কেপের তৈরি একটি মুক্ত সফটওয়্যার সম্প্রদায়। এটি ওপেন সোর্সড হওয়ার ফলে ব্যবহারকারীরা পণ্যটি ব্যবহার, বিকাশ এবং প্রসারের সুযোগ পান। <ref>https://www.mozilla.org/en-GB/</ref> এরপর মজিলা [https://www.mozilla.org/en-GB/about/ মজিলা ফায়ারফক্স] তৈরি করে।এটি আজও একটি সুপরিচিত ওয়েব ব্রাউজার।
==== ল্যাম্প ====
LAMP এর বেশিরভাগ ধারণা নিম্নরূপ।
<u>(L) লিনাক্স -</u> অপারেটিং সিস্টেম যা পুরো প্রক্রিয়াটিকে সমর্থন করে।
<u>(A) অ্যাপাচি</u> - অ্যাপাচি হলো একটি ওয়েব সার্ভার। এটি আপনাকে আপনার প্রয়োজনীয় তথ্য অর্জনের জন্য সিস্টেমের সাথে কীভাবে যোগাযোগ করতে হবে তা বলে। এটি একটি গ্রাফিক্যাল ইউজার ইন্টারফেসের (GUI) অনুরূপ। এটি সার্ভারগুলোকে একে অপরের সাথে কীভাবে ইন্টারঅ্যাক্ট করতে হয় তাও বলে।
<u>MySQL</u> বা মাইএসকিউএল হলো ডাটাবেজ। এখানেই সমস্ত তথ্য সংরক্ষণ করা হয় এবং ব্যবহারকারীর কাছে উপস্থাপন করার জন্য পুনরুদ্ধার করা হয়।
<u>PHP</u> - পিএইচপি হলো ব্যবহারকারীর কাছে সিস্টেমের সামগ্রিক সরবরাহ/ যেমন একটি মনিটর, স্পিকার এবং VDU। এটি ব্যবহারকারীকে সামগ্রিক অভিজ্ঞতা প্রদান করে।
কম্পিউটার ব্যবহারের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সবকিছুই ওপেন সোর্স সফটওয়্যারের মাধ্যমে করা হয়।
=== <u>২০০০-২০১০</u> ===
==== ওপেনঅফিস ====
২০০০-এর দশকেও ওপেন সোর্সড এবং মালিকানাধীন সফটওয়্যারের অগ্রগতি অসাধারণ ছিল। ২০০১ সালে ওপেনঅফিস প্রথম প্রকাশিত হয় যা পরবর্তীতে [https://www.openoffice.org/ অ্যাপাচি ওপেনঅফিস], [https://www.libreoffice.org/ লিব্রেঅফিস] এবং ওরাকল ওপেনঅফিসে শাখাভুক্ত হয় (এটিই একমাত্র ক্লোজড সোর্স যা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল)। ওপেনঅফিস ছিল একটি উন্মুক্ত উৎসের অফিস স্যুট প্রোগ্রাম যা মাইক্রোসফট অফিসের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে।
==== উবুন্টু ====
২০০৪ সালের মধ্যেই ডেবিয়ান-ভিত্তিক লিনাক্স ডিস্ট্রিবিউশন [http://www.ubuntu.com/ উবুন্টু] মুক্তি পায়। "উবুন্টু একটি ওপেন সোর্স সফটওয়্যার প্ল্যাটফর্ম। এটি স্মার্টফোন, ট্যাবলেট এবং পিসি থেকে শুরু করে সার্ভার এবং ক্লাউড সর্বত্র চলে।" উবুন্টুর লোগো প্রতীকটি "বন্ধুদের বৃত্ত" প্রতিনিধিত্ব করে। এটি ওপেন সোর্স সফটওয়্যারের সাথে সহযোগিতা প্রদর্শন করে। এটি একটি অত্যন্ত ঐতিহাসিক মুহূর্ত। কারণ এখন উবুন্টুর ২৪টিরও বেশি অফিসিয়াল রিলিজ থাকার পাশাপাশি অনেক অনানুষ্ঠানিক ভার্সনও রয়েছে।
==== গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ ====
এই আলোচনায় চারজন প্রভাবশালী কম্পিউটিং প্রতিভার কথা উল্লেখ করাও গুরুত্বপূর্ণ। তারা তাদের আবিষ্কারের মাধ্যমে বিশ্বকে মুগ্ধ করেছিলেন। ১৯৪৫ সালে স্নায়ুযুদ্ধের প্রাক্কালে <u>বুশ</u> মাইক্রো ফিল্ম ব্যবহার করে প্রথম কম্পিউটার চালু করেন। তিনি বিশ্বাস করতেন যে সকলেরই বিশ্ব জ্ঞানে প্রবেশাধিকার থাকা উচিত। এটি ছিল একটি অত্যন্ত কাল্পনিক পদ্ধতি। বুশ আর্থিক মূল্যের জন্য এই ক্ষেত্রটি অনুসরণ করেননি। বরং তিনি বিশ্বাস করতেন,প্রত্যেকেরই তথ্যের প্রাপ্যযোগ্যতা থাকা উচিত। এনিগমায় তার কাজের জন্য কুখ্যাত <u>টুরিং</u> এমন একটি যন্ত্র তৈরি করেছিলেন যা যেকোনো কিছু গণনা করতে সক্ষম ছিল। তথ্য ইনপুট করার এবং দ্রুত ধারাবাহিকভাবে কম্পিউটিং কোডের মাধ্যমে যন্ত্রের বোধগম্য ভাষাতে রূপান্তর করার সুযোগ পাওয়া যায়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় টুরিং সরকারি কোড এবং সাইবার স্কুলে কাজ করেছিলেন। টুরিংকে একটি দল বরাদ্দ করা হয়েছিল যেখানে তিনি জার্মান নৌ ক্রিপ্ট বিশ্লেষণের দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন। <u>এঙ্গেলবার্ট</u> যুক্তরাজ্যের অন্ধকার প্রধান প্রতিরক্ষার জন্য কাজ করেছিলেন। তিনি দৈত্যদের কাঁধে দাঁড়ানোর উপর বিশ্বাস করতেন এবং বুশ এবং টুরিংয়ের তৈরি পূর্ববর্তী কাজগুলো ব্যবহার করতেন। রিনি অনেক দুর্দান্ত জিনিস অর্জনের জন্য এটিকে প্রসারিত করেছিলেন। সকল ডেমোর জননী ১৯৬৯। তবে অন্য তিনজনের তুলনায় <u>নেলসন</u> ছিলেন খুবই রহস্যময়। নেলসন হাইপারটেক্সট, HTTP এবং মূলত ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব (www) তৈরিতে সহায়তা করেছিলেন। তিনি জানাডু নামে পরিচিত একটি প্রোগ্রামও তৈরি করেছিলেন। ধারণা করা হয়েছিল এটি ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবের চেয়ে বেশি দক্ষ হবে। তবে আগের তিনজনের বিপরীতে নেলসন ধারণাটি পেটেন্ট করতে এবং ফ্র্যাঞ্চাইজির মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে চেয়েছিলেন। দুর্ভাগ্যবশত নেলসনের ক্ষেত্রে এটি কাজ করেনি। শীঘ্রই ধারণাটি ব্যর্থ হয়ে যায়। এই সংক্ষিপ্ত ইতিহাস জুড়ে একটি মূল বিষয়বস্তু হলো সামরিক বাহিনীর সাথে সম্পর্ক এবং যোগাযোগ। যদি সামরিক বাহিনী এবং সম্ভবত বিশ্বযুদ্ধ না থাকত, তাহলে আমরা আজ উন্নয়নের ডিজিটাল জগতে যেখানে আছি সেখানে হয়তো থাকতাম না। এমনকি আইপি ইন্টারনেট প্রোটোকলও সামরিক বাহিনী থেকেই এসেছে/ তবে একটি বিষয় নিশ্চিত, আসলে ডিজিটাল প্রযুক্তি খুবই রাজনৈতিক।
== হ্যাকার নীতি ==
=== হ্যাকারের বিবর্তন: অতীত ও বর্তমান ===
"হ্যাকার" শব্দটির সাধারণ অর্থ বিভিন্ন প্রজন্মের কাছে ভিন্ন ভিন্ন। লেভি (১৯৬৮) বলেছেন, কম্পিউটার বিজ্ঞান জগতের লোকেরা "এই শব্দটিকে উপহাসের একটি রূপ হিসেবে ব্যবহার করত। এর অর্থ হ্যাকাররা হয় অলস সামাজিকভাবে বহিষ্কৃত অথবা "অপেশাদার" প্রোগ্রামার, যারা নোংরা "অমানবিক" কম্পিউটার কোড লিখেছিল"।<ref>Levy, Steven. 1986 ''Hackers: - Heroes of the Computer Revolution''</ref> লেভি হ্যাকার কী তা বর্ণনা করেছেন। তার তুলনায় ডগলাস (২০০২) হ্যাকারদের বর্ণনা করেছেন "একটি সংস্কৃতি হিসেবে, কম্পিউটার উৎসাহীদের একটি দল যারা এমন একটি জায়গা এবং পদ্ধতিতে কাজ করে যা সঠিকভাবে কীভাবে কাজ করে তা জানার জন্য সীমাহীন কৌতূহলের অনুভূতি দ্বারা সংজ্ঞায়িত করা যেতে পারে। তবে এই জ্ঞানকে আরও বিস্তৃত সাংস্কৃতিক ধারণা দ্বারা সংজ্ঞায়িত করা হয়"। <ref>Levy, Steven. 1986 ''Hackers: - Heroes of the Computer Revolution''</ref> আবার দুটি ভিন্ন প্রজন্ম হ্যাকার কী তা বিশ্বাস করে তার দুটি ভিন্ন সংজ্ঞা দেয়। হ্যাকিংয়ের এই ইতিহাসটি একটি জটিল কিন্তু আকর্ষণীয় ক্ষেত্র। কারণ একবিংশ শতাব্দীতে আমরা হ্যাকিংকে একটি অপরাধ হিসেবে জানি। কিন্তু আজকের বিশ্বে অগ্রগতির জন্যেই এটি ব্যবহার করা হয়েছিল। আবার লেভি (২০১৬) উদ্ধৃত করেছেন, "এটি ছিল ভাগাভাগি, উন্মুক্ততা, [[বিকেন্দ্রীকরণ]] এবং যেকোনো মূল্যে মেশিনের উন্নতি এবং বিশ্বকে উন্নত করার জন্য মেশিন হাতে পাওয়ার একটি দর্শন"। এই দর্শন বা নীতিশাস্ত্র তাদের সংস্কৃতির জন্য উপহার ছিল; এমন কিছু যা আমাদের মধ্যে যাদের কম্পিউটারে মোটেও আগ্রহ নেই তাদের জন্যও মূল্যবান। হ্যাকিংয়ের বিবর্তন দেখতে পাওয়া যায় যদি কেউ হ্যাকিংয়ের এই গতিবিধিটি অধ্যয়ন করে যা বর্তমানে "অজ্ঞাত" নামে পরিচিত। কারণ এই আন্দোলনটি শুরু হয়েছিল সহজ ট্রোলিং, অপ্রীতিকর উপাদান ভাগ করে নেওয়া এবং [[ফোরচান|4chan]] ওয়েবসাইটে "মিমস" এর মতো অদ্ভুত নতুন ইন্টারনেট অভিব্যক্তি তৈরির মাধ্যমে। হ্যাকাররা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির এই পটভূমি থেকে এসেছে এবং এটিকে "হ্যাকটিভিজম"-এ রূপান্তরিত করেছে। এটি কোনও উদ্দেশ্যকে সমর্থন, অসম্মান বা ব্যাহত করার সরাসরি উদ্দেশ্য নিয়ে হ্যাকিং। এই "অজ্ঞাত" ভাবে তৈরি করেছে। এগুলো হ্যাকিং বিবর্তনের একটি সহজ ফসল এবং অনেকেই ইতিবাচক হিসেবে দেখবেন এমন কাজ করেছে। যেমন [[কু ক্লাক্স ক্লান|কু ক্লাক্স ক্ল্যানের]] সদস্যদের উন্মোচন করা।
=== সৃজনশীল বনাম অপরাধী ===
কম্পিউটারের প্রাথমিক যুগের সাথে সাথে উন্নতির জন্য সর্বদাই জায়গা ছিল। প্রতি বছর বিভিন্ন হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যার দিয়ে কম্পিউটার আপগ্রেড করা হচ্ছে। এক অর্থে হ্যাকাররা সবসময়ই বোঝাপড়ার জন্য চেষ্টা করত। কিন্তু এগিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে তারা সফটওয়্যারও আপগ্রেড করছিল। অ্যালবার্টস এবং ওল্ডেনজিয়েল (২০১৪) এর বর্ণনা অনুযায়ী হ্যাকার ছিলেন একজন ব্যক্তি "যিনি ইচ্ছাকৃতভাবে বাইরের ব্যক্তির ভূমিকা বেছে নেন, জটিলতাগুলো আয়ত্ত করতে হয়, তালা ভাঙতে হয় এবং বহিষ্কারকে অনুপ্রবেশের মাধ্যমে মোকাবেলা করতে হয়"। তারা আরও ব্যাখ্যা করে, হ্যাকাররা "কোনও ক্ষতি না করার জন্য" অনুপ্রবেশের একটি ছাপ রেখে যেতে চেয়েছিল। বিশ্বজুড়ে হ্যাকার সংস্কৃতিকে ভিন্নভাবে দেখা হয়। অনেক দেশ এই সংস্কৃতিকে বিভিন্ন রূপে ব্যবহার করে। উদাহরণস্বরূপ, যুগোস্লাভ কিশোর-কিশোরী এবং ছাত্ররা পার্টি ও সঙ্গীতের উপসংস্কৃতির অংশ হিসেবে কম্পিউটার "ঝাঁকুনি" দিত। অন্যদিকে ফিনিশ গণতন্ত্রগুলো এটিকে "উদীয়মান প্রোগ্রামারদের তাদের কাজ দেখানোর জন্য" "অনুষ্ঠানের আচার" হিসেবে ব্যবহার করত। অন্যদিকে [[Wau holland|"ওয়াউ হল্যান্ড"]] নামে একজন জার্মান হ্যাকারের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক কার্যকলাপের অভিযোগ আনা হয়েছিল। এর মাধ্যমে তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে একটি ব্যাংকের নিরাপত্তা ত্রুটিগুলো দেখানোর জন্য হ্যাক করেছিলেন। তারা যে সিস্টেমটি হ্যাক করছিল তা ছিল একটি নতুন সিস্টেম যা ব্যাংকটি একটি ইন্টারেক্টিভ টেলিটেক্সট সিস্টেম ( [[Btx (form factor)|Btx]] ) স্থাপন করেছিল। এর প্রধান নিরাপত্তা ত্রুটি ছিল। হ্যাকাররা পাসওয়ার্ডগুলো হেরফের করতে এবং ট্র্যাক করতে সক্ষম হয়েছিল। এই কাজ করে হল্যান্ড এবং তার সহযোগী এক রাতে তাদের অ্যাকাউন্টে €১৩৫,০০০ ট্রান্সফার করতে সক্ষম হন। তাদের ব্যাংক হ্যাক করার চার বছর পর ওয়ার্নারিকে আরও কম্পিউটার অপরাধের জন্য ফ্রান্সে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। ১৯৮৬/৮৭ সালে [[নাসা|নাসার]] মতো সরকারি কর্তৃপক্ষ এবং গবেষণা সংস্থাগুলোর ব্যবহৃত VAX কম্পিউটারগুলোতে একটি বাগ আবিষ্কার করে হ্যাকাররা এই কম্পিউটারগুলোতে প্রাপ্যতা পেতে সক্ষম হয়। এরপর তার বিরুদ্ধে ১০০টি কম্পিউটার থেকে ডেটা প্রাপ্যতা, কপি এবং ধ্বংস করার অভিযোগ আনা হয়। হ্যাকিং জগতের অপরাধমূলক দিকের আরেকটি উদাহরণ হতে পারে ১৯৯০ সালের AT&amp;T-এর দূরপাল্লার টেলিফোন সুইচিং সিস্টেমটি ক্র্যাশ করার ঘটনা। স্টার্লিং (১৯৯৪) ব্যাখ্যা করেছেন, এই দুর্ঘটনার সময় ৬০,০০০ মানুষ নয় ঘন্টার জন্য টেলিফোন পরিষেবা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল। এটি শুরু হয়েছিল কারণ ম্যানহাটনের একটি সুইচিং-স্টেশন AT&T-এর নিজস্ব সিস্টেমে পাওয়া একটি বাগের কারণে ক্র্যাশ হয়ে গিয়েছিল।
=== কম্পিউটার/হ্যাকিং নীতিশাস্ত্রের গঠন ===
হ্যাকিংয়ের ক্ষেত্রে আমরা জানি যে মানুষ বিভিন্ন কারণে এটি করে। ভালো হোক বা খারাপ, তুলনা করার মতো কোনও মধ্যম ক্ষেত্র নেই। টেলর (১৯৯৯:১৩৬) যা বর্ণনা করেছেন যে "হ্যাকিংয়ের নৈতিক জটিলতার মুখোমুখি হলে, তারা এবং আমাদের পরিস্থিতির মেরুকৃত অবস্থানের মধ্যে থাকা নৈতিক নিশ্চিততাগুলো গ্রহণ করার প্রলোভন দেখা দেয়"। গত দশকে প্রযুক্তির অগ্রগতির সাথে সাথে, এটি হ্যাকিং প্রজন্মকে তাদের নিজস্ব জ্ঞান, নতুন হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যার উন্নত করার জন্য বিভিন্ন খেলার মাঠ উপহার দিয়েছে। হ্যাকিং সম্ভব করার অন্যতম প্রধান কারণ হলো গোপনীয়তার সমসাময়িক সংস্কৃতি যা সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং অর্থনৈতিক মিথস্ক্রিয়ার একটি বৃহৎ অংশকে নিয়ন্ত্রণ করে। গোপনীয়তার কারণে হ্যাকাররা বিচ্ছিন্ন বোধ করে। কিন্তু সুবিধাও পায়। আমরা জানি হ্যাকাররা গোপনীয়তার বিরোধিতা করে, তারা নিজেদের বিরোধিতা করে, তারা যে পদ্ধতি বা পদ্ধতিটি পরিচালনা করে তা কাজে লাগিয়ে, প্রযুক্তি এবং সমসাময়িক সংস্কৃতির সাথে তাদের অবস্থানকে জটিল করে তোলে। ডগলাস (২০০২:১১৫) ব্যাখ্যা করেন যে হ্যাকিংয়ের প্রাথমিক প্রজন্মে, ধারণা, তথ্য ভাগাভাগি করার পাশাপাশি প্রযুক্তি প্রাপ্যতাের জন্য সম্প্রদায়গুলোর উপর প্রচুর নির্ভর করা হত। ১৯৫০/৬০ এর দশকে, সম্প্রদায়গুলো এমআইটি, হার্ভার্ড, কর্নেল এবং আরও কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবগুলোকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছিল। <ref>Douglas, Thomas 2002 ''Hacking Culture''</ref>
টেলর আরও বলেন,"হ্যাকাররা এমন বাচ্চাদের মতো যারা রেললাইনে দশ পেন্সের টুকরো রেখে দেখে যে এটি বাঁকছে কিনা। কিন্তু তারা বুঝতে পারে না যে তারা পুরো ট্রেনটি রেলিং থেকে নামিয়ে দেওয়ার ঝুঁকি নিচ্ছে"। হ্যাকারদের কীভাবে উপস্থাপন করা হয় তা দেখার একটি ভালো উপায় হলো "মিস্টার রোবট"। এটি এমন একটি প্রোগ্রাম যেখানে একদল হ্যাকার একটি বহুজাতিক কর্পোরেশনকে আক্রমণ করে বিশ্বকে ঋণমুক্ত করতে বদ্ধপরিকর। টেলর (১৯৯৯) উল্লেখ করেছেন,ব্যবসায়িক নীতিশাস্ত্রের একটি গবেষণার সময়, এমন কিছু বিষয় উঠে এসেছে যা দেখায় যে শিল্পের মধ্যে নীতিগত সিদ্ধান্তগুলো আরও কঠিন এবং বয়স্ক জনগোষ্ঠীর কাছ থেকে আসার প্রবণতা রয়েছে। কম্পিউটার শিল্পের সদস্যরা সাধারণত সাধারণ হ্যাকারদের তুলনায় বয়স্ক হন এবং কম্পিউটারকে তাদের দৈনন্দিন জীবনের একটি হাতিয়ার হিসেবে দেখেন, অন্যদিকে হ্যাকাররা কম্পিউটারকে একটি শখ হিসেবে দেখেন। এই বয়সের পার্থক্য সম্ভবত একটি কারণ যার জন্য নিরাপত্তা শিল্প এবং গোপন কম্পিউটারের সদস্যদের নীতিগত দৃষ্টিভঙ্গিতে মৌলিক পার্থক্য রয়েছে।
==== 'অলিখিত আইন' ====
অনেক কম্পিউটার ভক্ত এমন একটি কাঠামো অনুসরণ করেন যাকে অনেকে হ্যাকারদের বাইবেল বলে। এটি এমন কিছু অলিখিত নিয়মে। তারা বিশ্বাস করে এভাবেই সফটওয়্যার লেখা এবং সরবরাহ করা উচিত। তারা সেই অনুযায়ী আরও উন্মুক্ত এবং উদার কিছু পরিবর্তন করতে চায়। এটি মূলত সফটওয়্যারের সহজলভ্যতা এবং এটি ব্যবহার করতে ইচ্ছুক সকলের কাছে এর সহজলভ্যতার সাথে সম্পর্কিত। সকল তথ্য বিনামূল্যে থাকা উচিত। কর্তৃপক্ষের উপর অবিশ্বাস করুন, বিকেন্দ্রীকরণকে উৎসাহিত করুন। দ্বিতীয়ত এই ধারণাটি উপস্থাপন করে যে, বিশ্বজুড়ে বা এমনকি বিভিন্ন দেশে একাধিক সার্ভার থাকা উচিত। সেগুলোতে একই তথ্য জমা থাকবে, যাতে অন্য কোনও সফটওয়্যার এবং/অথবা প্রোগ্রাম ব্যর্থ হলে আপনি সর্বদা প্রাপ্যতা পেতে পারেন। একাধিক সার্ভার থাকার ফলে বৃহত্তর শ্রোতা তৈরি হবে। এর ফলে প্রোগ্রামগুলোতে সবার প্রাপ্যতা থাকার পাশাপাশি কর্মক্ষমতাও উন্নত মানের হবে। হ্যাকারদের বিচার করা উচিত তাদের হ্যাকিং দিয়ে; কোনো ডিগ্রি, বয়স, জাতি বা পদের মতো ভুয়া মানদণ্ড দিয়ে নয়। আমি বিশ্বাস করি এটি বিশেষ করে আধুনিক যুগ এবং সমাজের সাথে গভীরভাবে সম্পর্কিত যেখানে জীবনের সকল ক্ষেত্রেই সমতার জন্য লড়াই অব্যাহত রয়েছে। বিশেষ করে আজকের ডিজিটাল জগতে এমন অনেক তরুণ আছেন যারা অসাধারণ কোডিং তৈরি করতে সক্ষম যা একটি IOS সিস্টেমের মধ্যে একত্রিত করা যেতে পারে। এগুলো বিভিন্ন মাল্টি মিডিয়ামে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে পারে। আপনি কম্পিউটারে শিল্প ও সৌন্দর্য তৈরি করতে পারেন। এটি কম্পিউটিং জগতের সকল মাত্রার জন্য দায়ী, তা ডিজিটাল শিল্প, প্রোগ্রামিং, চলচ্চিত্র নির্মাণ হোক... তালিকাটি অন্তহীন। বলা বাহুল্য, সবই শিল্পের উপাদান। এগুলোকে হালকাভাবে নেওয়া উচিত নয়। কম্পিউটার জীবনকে আরও ভালোর দিকে বদলে দেয়। প্রযুক্তি ক্রমাগত বিকশিত হচ্ছে এবং উন্নতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা এখন বধির এবং অন্ধদের জন্য এমন ব্যবস্থা তৈরি করতে সক্ষম হয়েছি যা মিথস্ক্রিয়া এবং যোগাযোগের পাশাপাশি আরও অনেক কিছুতে সহায়তা করে যা অসংখ্য ব্যক্তি এবং পরিবারকে সহায়তা করে।
== ক্রিয়েটিভ কমন্স বনাম কপিরাইট ==
=== ক্রিয়েটিভ কমন্স কী? ===
২০০১ সালে লরেন্স লেসিগ, হাল অ্যাবেলসন এবং এরিক ইল্ড্রেড অলাভজনক সংস্থা '''ক্রিয়েটিভ কমন্স (CC)''' প্রতিষ্ঠা করেন। এটি অন্যদের জন্য উপলব্ধ সৃজনশীল কাজ বাড়ানোর জন্য চেষ্টা করছে। এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা আইনগতভাবে ভিত্তি করে তৈরি করতে এবং অন্যদের সাথে ভাগ করতে পারেন। ক্রিয়েটিভ কমন্স লাইসেন্সগুলি জনসাধারণের জন্য বিনামূল্যে প্রকাশিত হয়। ক্রিয়েটিভ কমন্স সম্পর্কিত প্রথম নিবন্ধটি একটি সাধারণ আগ্রহের প্রকাশনায় হাল প্লপকিনের “All Hail Creative Commons Stanford professor and author Lawrence Lessig plans a legal insurrection” (২০০২)-এ প্রকাশিত হয়। ২০০৪ সালের নভেম্বর পর্যন্ত প্রায় ৮৮০ মিলিয়ন কাজ ক্রিয়েটিভ কমন্স লাইসেন্সের আওতায় লাইসেন্সপ্রাপ্ত।<ref>[https://creativecommons.org/licenses] , About the Licenses – Creative Commons.</ref>
'''ক্রিয়েটিভ কমন্সের বিভিন্ন দিক'''
ক্রিয়েটিভ কমন্সের অনেক ধরণের আছে, যেগুলো আপনাকে বিভিন্ন উপায়ে একটি কাজ ব্যবহার করার সুযোগ দেয়। এটি ব্যক্তির লাইসেন্সের উপর নির্ভর করে। কারণ প্রতিটি কাজের সাথে আপনি কী করতে পারবেন এবং কী করতে পারবেন না তার নিয়ম রয়েছে। নিচে কয়েকটি তালিকাভুক্ত উদাহরণ দেওয়া হলো। মূলত স্কেল শর্তাবলী প্রদান করে, আপনি বিভিন্ন উপায়ে কিছু পুনঃব্যবহার করতে পারেন, সাধারণত এটি শর্তাবলীতে বর্ণিত থাকে। এটি ছোট মুদ্রণ নামেও পরিচিত।
'''পাবলিক ডোমেইন'''
পাবলিক ডোমেইন শব্দটি এমন সৃজনশীল উপকরণগুলোকে বোঝাতে ব্যবহৃত হয় যা সম্পত্তি আইন, কপিরাইট, ট্রেডমার্ক বা পেটেন্ট আইন দ্বারা সুরক্ষিত নয়। এই কাজগুলোর মালিক 'জনসাধারণ', কোনও একক ব্যক্তি নন। পাবলিক ডোমেইন উপকরণ ব্যবহারের জন্য অনুমতির প্রয়োজন নেই কারণ কেউ কখনও উপকরণের অধিকার দাবি করতে পারে না। <ref>[http://fairuse.stanford.edu/overview/public-domain/welcome/] , Copyright & Fair Use – Stanford University Libraries.</ref>
চারটি সাধারণ সম্ভাবনা রয়েছে যা উপকরণ বা পণ্যগুলোকে পাবলিক ডোমেইন করতে পারে: <ref>[http://fairuse.stanford.edu/overview/public-domain/welcome/] , Copyright & Fair Use – Stanford University Libraries (Extended).</ref>
* কপিরাইট মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে।
* কপিরাইট মালিক কপিরাইট নবায়ন নিয়মের পদ্ধতি সঠিকভাবে অনুসরণ করেননি।
* কপিরাইট মালিক ইচ্ছাকৃতভাবে একটি উপাদান বা পণ্য পাবলিক ডোমেইনে রাখেন।
* কপিরাইট আইন এই বিশেষ ধরণের উপাদানকে রক্ষা করতে পারে না।
কপিরাইট জনসাধারণের জন্য, যাতে তারা সফটওয়্যারটি ব্যবহার করতে পারে, কাজের অংশ... ইত্যাদি, যেমনটা তারা চায়। এর অর্থ হলো তারা এটি সম্পাদনা করতে এবং তাদের ইচ্ছামতো পুনরায় ব্যবহার করতে সক্ষম। এর একটি গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ হলো ওয়াল্ট ডিজনির মিকি মাউসের সৃষ্টি। মিকি মাউসের গ্রাফিক্স এবং ধারণাটি পাবলিক ডোমেইনে রয়েছে, অর্থাৎ বিবিসির মতো অন্যান্য সংস্থাগুলো যদি ইচ্ছা করে তবে এই ধারণাটি একটি স্কেচে ব্যবহার করতে পারে। এর মানে হলো, যদিও আমরা মিকি মাউসকে একটি কার্টুন শিশু ক্লাসিক হিসেবে যুক্ত করেছি, আমরা তাকে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের একটি স্কেচে দেখতে পাচ্ছি।
=== By ===
"By" আপনাকে একটি কাজকে আপনি যেভাবে চান তেমন করে রিমিক্স, সম্পাদনা এবং বিতরণ করার অনুমতি দেয়। তবে, আপনাকে বিবেচনা করতে হবে কাজটি কোথা থেকে এসেছে এবং মূল সৃষ্টিকারীর গুরুত্বকে স্বীকৃতি দিতে হবে।
'''অ্যাট্রিবিউশন'''
CC BY Attribution অন্যদের এমন কাজ বিতরণ, সম্পাদনা এবং যোগ করার সুযোগ দেয় যা ইতিমধ্যেই তৈরি করা হয়েছে, যতক্ষণ না তারা মূল লেখককে কৃতিত্ব দেয়। মূলত এটি সবচেয়ে সুবিধাজনক লাইসেন্স। এটি আপনাকে আপনার প্রয়োজন অনুসারে নিবন্ধটি তৈরি করতে সক্ষম করে।
'''অ্যাট্রিবিউশন-শেয়ারঅ্যালাইক'''
CC BY-SA এই লাইসেন্সটি আপনাকে অ্যাট্রিবিউশন লাইসেন্সিংয়ের মতোই কাজ করার সুযোগ দেয়, তবে এটি কেবলমাত্র বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে সম্পন্ন করা হয় এবং তারা তাদের নতুন সৃষ্টিগুলোকে একই শর্তে ক্রেডিট এবং লাইসেন্স দেয়। অ্যাট্রিবিউশন- শেয়ারঅ্যালাইককে প্রায়ই 'কপিলেফট' ফ্রি এবং ওপেন সফটওয়্যার লাইসেন্স বলা হয়। উইকিপিডিয়া এই ধরণের লাইসেন্স ব্যবহার করে।
'''অ্যাট্রিবিউশন-নোডেরিভস'''
CC BY-ND এই লাইসেন্সটি বাণিজ্যিক এবং অ-বাণিজ্যিক উভয় ক্ষেত্রেই পুনর্বণ্টনের সুযোগ দেয়, যতক্ষণ না এটি অপরিবর্তিত এবং সম্পূর্ণরূপে আপনার কৃতিত্বের সাথে পাস করা হয়।
'''অ্যাট্রিবিউশন-অ-বাণিজ্যিক'''
CC BY-NC অ্যাট্রিবিউশন-শেয়ারঅ্যালাইকের অনুরূপ, এই লাইসেন্সটি আপনাকে কাজ যোগ করতে, পরিবর্তন করতে এবং নির্মাণ করতে সক্ষম করে, তবে তা বাণিজ্যিক নয় এমন পরিবেশেও। নতুন সৃষ্টিকর্মকে আপনার পরিবর্তন এবং অ-বাণিজ্যিক উপাদান স্বীকার করতে হবে, তবে এটি একই লাইসেন্সের অধীনে হতে হবে না।
'''অ্যাট্রিবিউশন-ননকমার্শিয়াল-শেয়ারঅ্যালাইক'''
CC BY-NC-SA অ্যাট্রিবিউশন-ননকমার্শিয়ালের মতো মূল পার্থক্য হলো যে আপনাকে একই শর্তে নতুন কাজের লাইসেন্স দিতে হবে।
'''অ্যাট্রিবিউশন-ননকমার্শিয়াল-নোডেরিভস'''
CC BY-NC-ND এই লাইসেন্সটি সবচেয়ে সীমাবদ্ধ, শুধুমাত্র অন্যদের আপনার কাজ ডাউনলোড করতে এবং অন্যদের সাথে শেয়ার করতে দেয় যতক্ষণ না তারা মূল লেখককে কৃতিত্ব দেয়।
'''প্রভাব'''
ব্রাউসার্ড ক্রিয়েটিভ কমন্সকে কপিলেফট আন্দোলনের অগ্রভাগে বলে বর্ণনা করেছেন। এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে "সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত" কপিরাইটের একটি বিকল্প প্রদান করার চেষ্টা করছে (২০০৭)। বিকল্পভাবে, ডেভিড বেরি ক্রিয়েটিভ কমন্সকে বুদ্ধিজীবী সম্পত্তির বিষয়টিতে আগ্রহ তৈরি করার জন্য এবং "তথ্য যুগে" "কমন্স" এর ভূমিকা পুনর্বিবেচনা করার জন্য কৃতিত্ব দেন, তিনি বলেন "ক্রিয়েটিভ কমন্সে এমন প্রতিষ্ঠানিক, ব্যবহারিক এবং আইনগত সহায়তা রয়েছে যা افراد এবং গোষ্ঠীগুলোকে সংস্কৃতি নিয়ে আরও স্বাধীনভাবে পরীক্ষাগুলো এবং যোগাযোগ করতে চায়।" (বেরি, ডি, ২০০৫)। লেস্টিগ, অন্যদিকে আধুনিক সংস্কৃতিকে ঐতিহ্যবাহী কনটেন্ট বিতরণকারীদের দ্বারা আধিপত্যে ছিল বলে বর্ণনা করেছেন, সাংস্কৃতিক পণ্য যেমন সঙ্গীত এবং সিনেমার উপর মনোপলি বজায় রাখতে বা বৃহত্তর করতে, তিনি বলেছেন "ক্রিয়েটিভ কমন্স এই বিধিনিষেধগুলোর বিকল্প দিতে পারে" (লেস্টিগ, ২০০৬)।
== ওপেন সোর্স এবং মালিকানাধীন সফটওয়্যারের উদাহরণ ==
=== ইউনিক্স এবং গ্নু ===
[http://www.unix.org/ ইউনিক্স] ১৯৬৯ সালে বেল ল্যাবসে তৈরি করা হয়েছিল এবং এটি কম্পিউটিং ইতিহাসের প্রাচীনতম অপারেটিং সিস্টেমগুলোর মধ্যে একটি। এটিই সেই ভিত্তি যার উপর Mac OS X নির্মিত। এটি অনেকগুলো ভিন্ন মেশিনে চালানো যেতে পারে, এবং ইউনিক্স কম্পিউটারগুলো নেটওয়ার্কগুলোতে একসাথে কাজ করতে পারে। ইউনিক্স ছিল একটি মালিকানাধীন সিস্টেম কারণ বেল ল্যাবস কপিরাইট সুরক্ষিত রেখেছিল যাতে এটি একটি বন্ধ সিস্টেম ছিল যা ভাগ করা যেত না। একটি সিস্টেমে কাজ করার জন্য ইউনিক্স কোডটি সোর্স কোড বই থেকে ম্যানুয়ালি প্রবেশ করতে হত। এটি আজ আমাদের কাছে অত্যন্ত অদক্ষ বলে মনে হয়।
ওপেন সোর্স নেটওয়ার্কের উন্নয়নে রিচার্ড স্টলম্যান ছিলেন মৌলিক ভূমিকা পালনকারী। তিনি ইউনিক্সকে আরও ভাগ করে নেওয়ার যোগ্য উন্মুক্ত সিস্টেমে রূপান্তর করতে চেয়েছিলেন। ১৯৮৪ সালে তিনি [http://www.fsf.org/ ফ্রি সফটওয়্যার ফাউন্ডেশন] (এফএসএফ) তৈরি করেন। এফএসএফ-এর মূল লক্ষ্য ছিল সফটওয়্যারকে আরও উন্মুক্ত এবং প্রাপ্যতাযোগ্য করে তোলা, ঠিক যেমন প্রাথমিক কম্পিউটিং বুদ্ধিমত্তা এবং বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার ভাগ করে নেওয়ার উপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। স্টলম্যান গ্নু ("গ্নু is not ইউনিক্স") আবিষ্কার করেন ইউনিক্সকে নতুনভাবে পুনর্নির্মাণ করে যাতে এটি উন্মুক্ত এবং ভাগ করে নেওয়া যায়, যাতে ব্যবহারকারীরা তাদের ইচ্ছামত কোডটি মানিয়ে নিতে এবং পরিবর্তন করতে পারে। গ্নু যে কোনও সিস্টেমে চলতে সক্ষম ছিল যা ইতিমধ্যেই ইউনিক্স সমর্থন করে। স্টলম্যান গ্নু-কে একটি নতুন সিস্টেমের অধীনে লাইসেন্স দিয়েছিলেন যার নাম জেনারেল পাবলিক লাইসেন্স (জিপিএল। এটি "কপিলেফট" নামেও পরিচিত) যাতে গ্নু-কে মালিকানাধীন সফটওয়্যারে পরিণত হতে না পারে।
=== লিনাক্সের সাফল্য ===
লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেম একটি ওপেন সোর্স প্রকল্পের একটি গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ যা ক্রমশ শক্তিশালী হচ্ছে। এই প্রকল্পের সহযোগিতার সম্ভাবনাগুলো নিজেই নেটওয়ার্কের শক্তির প্রতিনিধিত্ব করে। কারণ এর প্রাথমিক পর্যায়ে যখন খুব কম অবদানকারী অংশগ্রহণ করছিলেন তখনও তাদের সারা বিশ্বে পাওয়া যেত। এই ব্যবস্থার সাফল্যের পেছনে অনেকগুলো কারণ রয়েছে, যেমন সম্পত্তির অধিকারের প্রতি বিশেষ দৃষ্টিভঙ্গি যা এর লাইসেন্স গঠন করে। লিনাক্সের [[গ্নু জেনারেল পাবলিক লাইসেন্স|জেনারেল পাবলিক লাইসেন্স]] (জিপিএল) সিস্টেমের ক্রমাগত উন্নয়নকে এর উপর ভিত্তি করে তৈরি হিসেবে স্বীকৃতি দেয়, তবে এটি পুনর্বণ্টনের সময় এর উপর কোনও বিধিনিষেধ আরোপের সুযোগ দেয় না। এটি বার্কলে সফটওয়্যার ডিস্ট্রিবিউশন (বিএসডি) লাইসেন্সের একটি বিকল্প। এটি প্রোগ্রামারদের সিস্টেম উন্নত করার জন্য একই স্বাধীনতা প্রদান করে না।
লিনাক্সের সাফল্যের আরেকটি কারণ হলো প্রকল্পের জন্য অব্যাহত, ঐক্যবদ্ধ সমর্থন। এটি প্রকল্প নেতাদের দ্বারা গৃহীত সিদ্ধান্ত এবং নিয়ম প্রত্যাখ্যান করার ঝুঁকি সম্পর্কে বোঝার কারণে। যারা প্রস্তাবিত কোড পরিবর্তন গ্রহণ করতে ব্যর্থ হন, তাদের জন্য প্রাথমিক প্রকল্প থেকে আলাদা হয়ে তাদের পরিবর্তনগুলো বাস্তবায়িত করে একটি নতুন প্রকল্প স্থাপন করার সুযোগ রয়েছে, যাকে "ফর্কিং" বলা হয়। <ref>Weber, S. (2004). ''Success of Open Source.'' Cambridge: Harvard University Press, p.64</ref> যদিও কিছু ডেভেলপার এটিকে ওপেন সোর্স প্রোগ্রামিংয়ের একটি অপরিহার্য অধিকার হিসেবে দেখেন, তবুও এই প্রক্রিয়ায় ঝুঁকি রয়েছে। লিনাক্সের ক্ষেত্রে, প্রলিফিক ফর্কিং কর্মীদের বিভক্ত করার এবং সামগ্রিক উৎপাদনশীলতা হ্রাস করার ঝুঁকি বহন করে। অধিকন্তু, আরও প্রকল্পের সাথে সাথে একটি প্রকল্পে উল্লেখযোগ্য সমস্যা দেখা দেওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। এটি প্রতিটি প্রকল্পের উপর খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে, ফর্কিংয়ের মাধ্যমে উদ্ভূত প্রকল্প থেকে শুরু করে প্রাথমিক প্রকল্প পর্যন্ত। <ref>Weber, S. (2004). ''Success of Open Source.'' Cambridge: Harvard University Press, p.159</ref> দক্ষতা এবং উৎপাদনশীলতার এই ভাঙ্গনের ফলে বেশ কয়েকটি প্রকল্প, সম্ভবত সবগুলোই ব্যর্থ হতে পারে। লিনাক্সের দীর্ঘ জীবনকাল এবং অব্যাহত, দীর্ঘমেয়াদী সহযোগিতার সম্ভাবনা উপরে উল্লিখিত ঝুঁকিগুলোর জন্য ঝুঁকি নেওয়ার প্রবণতাকে নিরুৎসাহিত করে, তাই এটি এখনও পর্যন্ত এটির অভিজ্ঞতা লাভ করেনি। <ref>Weber, S. (2004). ''Success of Open Source.'' Cambridge: Harvard University Press, p.159</ref>
ওপেন সোর্স ফরম্যাটের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সুবিধা থেকে লিনাক্সও উপকৃত হয়। ঐতিহ্যবাহী মালিকানাধীন ব্যবস্থায়, প্রত্যেকের কাছ থেকে প্রায় সমান পরিমাণে কাজের অবদান আশা করা হয়। তবে ওপেন সোর্সে, অবদানকারীদের একটি ছোট শতাংশের জন্য কাজের একটি বড় অংশ সম্পাদন করা সাধারণ, এবং বিপুল সংখ্যক অপ্রাপ্তবয়স্ক অবদানকারীদের জন্য কেবল এক বা দুটি অবদান রাখা স্বাভাবিক। তবুও, জর্ডান যুক্তি দেন যে একটি ওপেন সোর্স প্রকল্পের প্রেক্ষাপটে, একজন ব্যক্তি এমন একটি কাজ সম্পন্ন করতে পারেন যা অন্যথায় সম্পন্ন নাও হতে পারে। যদি একজন ব্যক্তি মাত্র একটি অবদানের মাধ্যমেও গ্রুপ প্রকল্পের উন্নতি করেন, তাহলে সকলেই আরও ভালো পণ্য পেয়ে উপকৃত হবেন।
পরিসংখ্যান থেকে জানা যায় যে ইন্টারনেটের ৩৬.২% ওয়েবসাইট লিনাক্স ব্যবহার করে। এরিকের মতে, লিনাক্স একটি বিকেন্দ্রীভূত উন্নয়ন পদ্ধতি [http://www.fao.org/docs/up/easypol/342/decen_dev_in_agri_012en.pdf] গ্রহণ করেছে। "ক্যাথেড্রাল অ্যান্ড দ্য বাজার" এবং অনুরূপ কাজে এস রেমন্ডের পরীক্ষা। এই পদ্ধতির ফলে অবদানকারীরা একটি সংবেদনশীলহীন সাংগঠনিক কাঠামোর মধ্যে ক্রমাগত কাজ করতে সক্ষম হন। লিনাক্সের অপারেটিং সিস্টেমের বৈশিষ্ট্যগুলোও এর সাফল্য বিশ্লেষণ করার সময় বিবেচনা করার মতো আরেকটি সম্ভাব্য কারণ। লিনাক্স এবং ইউনিক্সের মতো অন্যান্য অপারেটিং সিস্টেমের মধ্যে প্রযুক্তিগত বৈপরীত্য রয়েছে যা লিনাক্সের সাফল্য নিয়ে আলোচনা করার সময় মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ। একটি নির্দিষ্ট উৎস অনুসারে, কার্নেলের গণিত কোপ্রসেসর ব্যবহার না করেই 387-FPU নির্দেশাবলী এবং সিস্টেম অনুকরণ করার ক্ষমতা রয়েছে এবং একাধিক প্রোগ্রাম চালানোর ক্ষমতা রয়েছে যার জন্য ফ্লোট-পয়েন্ট গণিত ক্ষমতার একটি স্তর প্রয়োজন। লিনাক্স ডেটা স্টোরেজের জন্য বিভিন্ন ফাইল সিস্টেম সমর্থন করে, এবং ext2 ফাইল সিস্টেমের মতো। এটি বিশেষভাবে লিনাক্সের জন্য তৈরি করা হয়েছিল।
=== অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস ===
==== অ্যান্ড্রয়েডের উন্নয়ন ====
[[চিত্র:Android_robot.png|থাম্ব| অ্যান্ড্রয়েড লোগো]]
২০০৭ সালের ৫ নভেম্বর তারিখে গুগলের মোবাইল ফোন অপারেটিং সিস্টেম [[Android(operating system)|অ্যান্ড্রয়েড]] সর্বজনীনভাবে আত্মপ্রকাশ করে। এর বিশ্বব্যাপী প্রবর্তন [[ওপেন হ্যান্ডসেট অ্যালায়েন্স|ওপেন হ্যান্ডসেট অ্যালায়েন্সের]] সৃষ্টি এবং প্রবর্তনের সাথেও সম্পর্কিত। কোম্পানিগুলোর একটি কনসোর্টিয়াম যারা তাদের পণ্যগুলোতে নতুন তৈরি অ্যান্ড্রয়েড সফটওয়্যার প্রয়োগ করে। কনসোর্টিয়ামটি জনসমক্ষে প্রকাশিত হওয়ার সময় এর ৩৪ সদস্যের তালিকায় টি-মোবাইল, [[স্যামসাং ইলেকট্রনিক্স]], [[এইচটিসি]] এবং [[সনি|সনির]] মতো কোম্পানিগুলো অন্তর্ভুক্ত ছিল। পরবর্তী বছরগুলোতে, [[তোশিবা]], এসার এবং [[ভোডাফোন|ভোডাফোনের]] মতো কোম্পানিগুলো যোগদানের সাথে সাথে সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। <ref>http://www.cnet.com/uk/news/googles-open-handset-alliance-gains-14-new-members/</ref> এই জোটটি ছিল গুগলের অ্যান্ড্রয়েডকে একটি উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যার হিসেবে বিকাশের সিদ্ধান্তের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপজাত।
রিচ মাইনার, [[অ্যান্ডি রুবিন]] এবং নিক সিয়ার্সকে সাধারণত অ্যান্ড্রয়েডের উদ্ভাবক হিসেবে কৃতিত্ব দেওয়া হয়। <ref>http://uk.businessinsider.com/how-android-was-created-2015-3?r=US&IR=T</ref> ২০০৫ সালে গুগল কর্তৃক কেনার আগে তারা একসাথে একটি ছোট কোম্পানি, Android.inc, হিসেবে অ্যান্ড্রয়েডে কাজ করেছিল। তাদের অধিগ্রহণের পর উপলব্ধ তহবিল বৃদ্ধি এবং প্রচুর নতুন সম্পদের আধিক্য উন্নয়ন প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে। দুই বছর পর প্রথম সর্বজনীনভাবে উপলব্ধ অ্যান্ড্রয়েড সফটওয়্যার তৈরি করা হয়। গুগল মূলত অ্যাপলের আইওএস-এর উন্নয়নের বিরোধিতা করে অপারেটিং সিস্টেমটি তৈরি করেছিল। ২০১০ সালে গুগলের আই/ও সম্মেলনের মূল বক্তৃতায়, গুগলের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট সোশ্যাল ভিক গুন্ডোত্রা দাবি করেছিলেন, "আমরা যদি পদক্ষেপ না নিই, তাহলে আমরা এক ভয়াবহ ভবিষ্যতের মুখোমুখি হব যেখানে একজন মানুষ, একজন ফোন, একজন ক্যারিয়ারই হবে ভবিষ্যৎ। এমন একটি ভবিষ্যৎ আমরা চাই না।" <ref>http://www.theatlantic.com/technology/archive/2013/12/the-day-google-had-to-start-over-on-android/282479/</ref>
অ্যান্ড্রয়েড প্রকাশের প্রায় এক বছর আগে, [[স্টিভ জবস]] ৯ জানুয়ারি, ২০০৭ তারিখে অ্যাপল আইফোন চালু করেছিলেন। গুগলের ভেতরে এই ঘোষণার প্রতিক্রিয়া ছিল অবাক করার মতো। গুগলের একজন কর্মচারী, ক্রিস ডিসালভো মন্তব্য করেছেন;<div align="center">
'''"একজন ভোক্তা হিসেবে আমি অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। আমি তাৎক্ষণিকভাবে একটি চাইছিলাম। কিন্তু একজন গুগল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে, আমি ভেবেছিলাম 'আমাদের নতুন করে শুরু করতে হবে। নব্বইয়ের দশকে আমরা যা হঠাৎ করে দেখেছিলাম তা এমন একটি জিনিস যা দেখলেই স্পষ্ট হয়ে ওঠে।"'''
</div>এই ঘোষণা অনুসারে অ্যান্ড্রয়েড ইঞ্জিনিয়ারদের দ্বারা তাড়াতাড়ি কিছু পরিবর্তন করা হয়। বিশেষ করে তাদের পণ্যে 'টাচস্ক্রিন' যুক্ত করা হয়। যদিও অ্যাপলের ঘোষণা অ্যান্ড্রয়ের আগে এসেছিল। এটি তাদের বাজারে সাময়িকভাবে লাভবান করতে সুবিধা দিয়েছিল। বিষয়টি অ্যান্ড্রয়েরডের একটি সুবিধাজনক অবস্থান হিসেবে দেখা হয়। কারণ এর ফলেঅ্যাপল কী মিস করেছে তা অ্যান্ড্রয়েরডের ইঞ্জিনিয়ারদেরকে দেখার সুযোগকরে দেয়।
অ্যান্ড্রয়েড ওপেন সোর্স সফটওয়্যার লিনাক্সের উপর ভিত্তি করে তৈরি। ফলে এর সোর্স কোড সকলের জন্য প্রাপ্যতাযোগ্য করে তোলে, অ্যান্ড্রয়েডের লিনাক্স পিসিতে আমরা যে লিনাক্স ব্যবহার করি তার থেকে ভিন্নভাবে কাজ করে। পিসির মতো অ্যান্ড্রয়েড লিনাক্স কার্নেল সংস্করণের একটি পরিবর্তিত সংস্করণ ব্যবহার করে।তবে একই সংস্করণ নয়। অ্যান্ড্রয়েডের জন্য লিনাক্স স্মার্টফোনের কথা মাথায় রেখে ডিজাইন করা হয়েছে ।তাই মূল কার্নেলে অন্যান্য সমন্বয়ের সাথে টাচ-স্ক্রিন প্রোগ্রামিং যোগ করা হয়েছে। নিচে কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপাদানের তালিকা দেওয়া হলো।
* অ্যালার্ম ড্রাইভার: ডিভাইসগুলোকে ঘুম থেকে জাগানোর জন্য টাইমার সরবরাহ করে
* Ashmem: অ্যাপ্লিকেশনগুলোকে মেমরি ভাগ করে নেওয়ার সুযোগ দেয় এবং কার্নেল স্তরে ভাগ করে নেওয়ার ব্যবস্থা করে।
* বাইন্ডার ড্রাইভার: আন্তঃ-প্রক্রিয়া যোগাযোগ সহজতর করে কারণ শেয়ার্ড মেমোরি ব্যবহারের মাধ্যমে একাধিক অ্যাপ্লিকেশন দ্বারা ডেটা ভাগ করা যায়। IPC হিসেবে নিবন্ধিত একটি পরিষেবা
পরিষেবা প্রদানকারীদের বিভিন্ন থ্রেড নিয়ে চিন্তা করতে হবে না কারণ বাইন্ডার সেগুলো পরিচালনা, পর্যবেক্ষণ এবং পরিচালনা করবে। বাইন্ডার প্রক্রিয়াগুলোর মধ্যে সিঙ্ক্রোনাইজেশনেরও যত্ন নেয়।
* পাওয়ার ম্যানেজমেন্ট: স্ট্যান্ডার্ড লিনাক্স পাওয়ার ম্যানেজমেন্ট (PM) এর উপরে তৈরি এবং
বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনা এবং সাশ্রয়ের জন্য আরও আক্রমণাত্মক নীতি গ্রহণ করুন। <ref>http://www.handycodeworks.com/wp-content/uploads/2011/02/linux_versus_android.pdf</ref>
গুগল কেন অ্যান্ড্রয়েডকে একটি ওপেন সোর্স অপারেটিং সিস্টেম বানিয়েছে তা বিতর্কের বিষয়। বিরোধীরা যুক্তি দেন যে সিদ্ধান্তটি মূলত আর্থিক ভিত্তিক ছিল। ওপেন সোর্স প্রযুক্তির লাভ-ভিত্তিক একাধিক সুবিধা রয়েছে। এটি মূলত সিস্টেমের ব্যাপক জনপ্রিয়তার কারণে। এটি গুগলের নাগাল আরও বাড়িয়ে তোলে এবং তাদের ভোক্তা জনসংখ্যার পরিধি প্রসারিত করে। তবে তাদের ওয়েবসাইটে, অ্যান্ড্রয়েড ব্যাখ্যা করেছে কেন তারা একটি ওপেন সোর্স সিস্টেম ব্যবহার করে;
'''"অ্যান্ড্রয়েডের প্রাথমিক উদ্দেশ্য হলো ক্যারিয়ার, ওইএম এবং ডেভেলপারদের জন্য একটি উন্মুক্ত সফটওয়্যার প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা যাতে তারা তাদের উদ্ভাবনী ধারণাগুলোকে বাস্তবে রূপ দিতে পারে এবং একটি সফল, বাস্তব-বিশ্বের পণ্য প্রবর্তন করতে পারে যা ব্যবহারকারীদের জন্য মোবাইল অভিজ্ঞতা উন্নত করে। আমরা আরও নিশ্চিত করতে চেয়েছিলাম যে ব্যর্থতার কোনও কেন্দ্রীয় বিন্দু নেই, যেখানে একজন শিল্প খেলোয়াড় অন্য কারও উদ্ভাবনকে সীমাবদ্ধ বা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।"''' <ref>https://source.android.com/source/</ref>
==== আইওএসের উন্নয়ন ====
[[চিত্র:Steve_Jobs_presents_iPhone.jpg|থাম্ব| স্টিভ জবস আইফোন উপস্থাপন করছেন]]
অ্যাপলের মোবাইল ফোন অপারেটিং সিস্টেম, [[আইওএস]]। এটি পূর্বে ওএস নামে পরিচিত ছিল, ৯ জানুয়ারি, ২০০৭ সালে আইফোন প্রবর্তনের মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ করে। প্রথম আইফোনগুলো সেই গ্রীষ্মের পরে বিক্রি শুরু হবে। আইওএসের নকশা অ্যাপল ম্যাকিনটোশের অপারেটিং সিস্টেম ওএস এক্স-এর উপর ভিত্তি করে তৈরি। স্টিভ জবস কর্তৃক আইপড প্রোগ্রামিং এবং ম্যাকিনটোশ প্রোগ্রামিংয়ের মধ্যে একটি প্রতিযোগিতার পর এই সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে ম্যাকিনটোশ ভিত্তিক একটি সিস্টেমই সবচেয়ে উপযুক্ত। ম্যাকিনটোশ দলের নেতৃত্বে ছিলেনস্কট ফরস্টল। তাকে অ্যাপ স্টোর তৈরি এবং বিকাশের জন্য কৃতিত্ব দেওয়া হয়। <ref>http://www.bloomberg.com/news/articles/2011-10-12/scott-forstall-the-sorcerers-apprentice-at-apple</ref>
আইওএস একটি মালিকানাধীন অপারেটিং সিস্টেম এবং তাই এর সোর্স কোড প্রাপ্যতাযোগ্য বা পরিবর্তনযোগ্য নয়। অ্যাপলই একমাত্র কোম্পানি যার পণ্যে আইওএস ব্যবহারের সুযোগ এবং বৈধতা রয়েছে। অপারেটিং সিস্টেম পরিবর্তনের ক্ষেত্রে ব্যবহারকারীদের সীমিত প্রাপ্যতাের কারণে, জেলব্রেকিংয়ের প্রক্রিয়াটি জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে অ্যান্ড্রয়েডের মতো অপারেটিং সিস্টেমে বিরোধী সফটওয়্যারের উপাদান রয়েছে, এই ক্ষেত্রে ওপেন সোর্স। এমন দাবি করা হয়েছে যে স্টিভ জবস আসলে ওপেন সোর্সের একজন পথিকৃৎ ছিলেন। আইওএস-ভিত্তিক ম্যাক অপারেটিং সিস্টেমটি নিজেই ডারউইনের ওপেন সোর্স সফটওয়্যারের উপর ভিত্তি করে তৈরি। ডারউইন ২০০৩ সালে অ্যাপল দ্বারা একটি বিনামূল্যের এবং ওপেন সোর্স সফটওয়্যার লাইসেন্সের অধীনে প্রকাশিত হয়েছিল। অধিকন্তু, স্টিভ জবস দাবি করেছেন যে অ্যান্ড্রয়েড "আসলে তেমন খোলা নয়" তিনি উল্লেখ করেছেন যে কিছু মোবাইল ডিভাইস কোম্পানি যেমন এইচটিসি তাদের ইন্টারফেসে মালিকানাধীন সফটওয়্যার ব্যবহার করেছে। তিনি এতে অসন্তোষ প্রকাশ করেন কারণ এর ফলে ব্যবহারকারীদের নিজেরাই এটি সমাধান করতে হয়। এটিকে অ্যাপল মালিকানাধীন সফটওয়্যার বাস্তবায়নের অন্যতম কারণ হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে; ডিভাইসের ব্যবহারকারী-বান্ধবতা উন্নত করার জন্য।
অ্যান্ড্রয়েডের মতোই, যুক্তি দেওয়া হয় যে এই সিদ্ধান্তটি মূলত আর্থিক ভিত্তিক ছিল। সফটওয়্যারটির কপিরাইট করার মাধ্যমে তারা অন্যান্য কোম্পানিগুলোকে এটি ব্যবহার থেকে বিরত রাখে, তাই যারা ইন্টারফেসটি উপভোগ করেছেন তাদের অ্যাপল পণ্য কিনতে হবে। অ্যাপল স্বীকার করেছে যে অনলাইন সম্প্রদায়ের মধ্যে, বিশেষ করে হ্যাকার সম্প্রদায়ের মধ্যে, প্রোপ্রাইটারিকে অবজ্ঞা করা হয়, তাই তারা টাচস্ক্রিন এবং হোম বোতামের মতো নির্দিষ্ট উদ্ভাবনী বৈশিষ্ট্যগুলোর উপর IOS প্রকাশের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করেছে। মালিকানাধীন সমালোচকরা যুক্তি দেন যে ওপেন সোর্স সফটওয়্যার অ্যাপলের জন্য অনিবার্য। <ref>http://www.wired.com/2015/06/open-sourcing-no-longer-optional-not-even-apple/</ref> তাদের যুক্তি হলো, অ্যাপল যদি প্রতিটি নতুন সংস্করণের সাথে মালিকানার মাত্রা বৃদ্ধি করতে থাকে, তাহলে তারা তাদের জনপ্রিয় অ্যাপ্লিকেশনগুলোর বেশিরভাগের জন্য নির্ভরশীল ডেভেলপারদের বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার ঝুঁকিতে পড়বে। মাইক্রোসফটের লিনাক্সের সাম্প্রতিক গ্রহণযোগ্যতা অ্যাপলের উপর আরও চাপ সৃষ্টি করেছে কারণ মাইক্রোসফটের মালিকানাধীন সফটওয়্যারের সাথে দীর্ঘদিনের মৌলিক সম্পর্ক রয়েছে।
==== বিতর্কের ভূমিকা ====
বিপরীত অপারেটিং সিস্টেমগুলোকে ঘিরে বিতর্কের ব্যবহারিক এবং আদর্শিক উভয় দিক থেকেই গুরুত্ব রয়েছে। ব্যবহারিকতার বিষয়গুলো অনলাইন ফোরামগুলোতে প্রাধান্য পায় এবং প্রায়ই উভয়ের মধ্যে তুলনা করা হয়। ব্যবহারকারী-বান্ধবতা, গোপনীয়তা, নিরাপত্তা, কাস্টমাইজেবিলিটি এবং অ্যাপ্লিকেশনগুলো সরাসরি অপারেটিং সিস্টেমের প্রকৃতি দ্বারা প্রভাবিত হয়, তা মালিকানাধীন হোক বা ওপেন সোর্স। সাধারণ জনগণের কাছে এগুলো বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে হয়। কিন্তু কিছু মানুষের কাছে, বিশেষ করে হ্যাকার সম্প্রদায় এবং ইন্টারনেট কর্মীদের মধ্যে যারা আছেন তাদের কাছে, বিপরীত অপারেটিং সিস্টেমগুলো বিপরীত মতাদর্শের প্রতিনিধিত্ব করে। অ্যান্ড্রয়েডকে 'জনস্বার্থ' হিসেবে দেখা হয়, যেখানে আইওএস 'মানুষের স্বার্থের' প্রতিনিধিত্ব করে। মাইক্রোসফটের গবেষণা সমাজবিজ্ঞানী মার্ক এ. স্মিথ ব্যাখ্যা করেছেন কিভাবে এই দুটির মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখার প্রয়োজন। তিনি "মুক্ত রাইডার" ধারণাটি বর্ণনা করেছেন যারা জনসাধারণের কল্যাণে অবদান না রেখেই তা ব্যবহার করে। এই ধারণাটি বেশিরভাগ অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীদের জন্য প্রযোজ্য হবে যারা সোর্স কোড প্রাপ্যতা বা পরিবর্তন করেন না।
বিরোধী মতাদর্শের পাশাপাশি এটি বিরোধী [[বিবর্তন|বিবর্তনীয় ব্যাখ্যার]] প্রতিনিধিত্ব করে। এমন ধারণা রয়েছে যে প্রতিযোগিতাই ছিল বিবর্তনের একমাত্র চালিকা শক্তি। এটি আইওএস এবং মালিকানাধীন সফটওয়্যারকে সমাজের জন্য সাধারণত উপকারী হিসাবে ব্যাখ্যা করবে। এর বিরোধিতা করা হয় এই দাবির মাধ্যমে যে সহযোগিতা বিবর্তনের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক এবং বর্ধিত প্রাণীজগতেও এটি প্রতিনিধিত্ব করে। <ref>Rheingold, H. (2003). Smart mobs. Cambridge, MA: Perseus Pub. pg39</ref> লিনাক্সকে বর্ণনা করা হয়েছে, "ডেভেলপারদের দ্বারা প্রবর্তিত মিউটেশনের উপর এক ধরণের দ্রুত ডারউইনীয় নির্বাচন তৈরি করা।" "
অনেক দিক থেকেই অপারেটিং সিস্টেমের স্পষ্ট উল্লেখ ছাড়াই জনপ্রিয় বিতর্কটি ঘটেছে। দুটি সর্বাধিক জনপ্রিয় অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে তারা তাদের নিজস্ব ফ্যান ওয়েবসাইট এবং মিটআপের মাধ্যমে উৎসাহী ভক্তদের আকর্ষণ করেছে। সিস্টেমগুলো গুগল এবং অ্যাপলের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্বদের, যেমন স্টিভ জবসের সাথে সেলিব্রিটির লড়াইয়ে প্রবেশ করেছে, অপারেটিং সিস্টেমের চেয়ে বেশি বিখ্যাত হয়ে উঠেছে। নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক এরিক রোবেলস-অ্যান্ডারসন এবং অন্যান্যরা অ্যাপলকে একটি ' ধর্ম-সংস্কৃতি ' হিসেবে বর্ণনা করেছেন। <ref>http://www.techinsider.io/nyu-professor-says-apple-is-a-cult-2015-9</ref> এটিই ছিল 'ম্যাকহেডস' তথ্যচিত্রের ভিত্তি। অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস-এর এখন বিশাল সংখ্যক প্রতিষ্ঠিত ভক্ত রয়েছে যারা তাদের নিজ নিজ অপারেটিং সিস্টেমের প্রতি অনুগত এবং একে অপরের পণ্য কিনবে না <ref>http://www.telegraph.co.uk/technology/apple/10632787/iPhone-owners-admit-having-blind-loyalty-to-Apple.html</ref>
==== অ্যান্ড্রয়েডের সুবিধা এবং সমালোচনা ====
'''প্রাপ্যতা এবং সামঞ্জস্য'''
ব্যবহারকারীদের কাছে এর বিশাল প্রাপ্যতার জন্য অ্যান্ড্রয়েড ধারাবাহিকভাবে প্রশংসিত হয়। এটি এর ওপেন সোর্স বৈশিষ্ট্যের প্রত্যক্ষ ফলাফল। অনেক কোম্পানি তাদের পণ্যে অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহার করে। এর ফলে গ্রাহকরা আইওএস পরিচালিত পণ্যের তুলনায় ফোন এবং ট্যাবলেটের একটি উল্লেখযোগ্য বিস্তৃত নির্বাচন থেকে পছন্দ করতে পারেন। বিপুল সংখ্যক অ্যান্ড্রয়েড প্রস্তুত ডিভাইসের কারণে পরবর্তীতে অ্যান্ড্রয়েড ৮০% এরও বেশি শেয়ার নিয়ে বাজারে আধিপত্য বিস্তার করতে সক্ষম হয়েছে। <ref>http://www.idc.com/prodserv/smartphone-os-market-share.jsp</ref> এটি সাধারণত (অ্যাপাচি সফটওয়্যার লাইসেন্স ২.০ (এপিএল২.০), একটি বিনামূল্যের সফটওয়্যার লাইসেন্সের অধীনে পরিচালিত লাইসেন্সের কারণে, নির্মাতারা তাদের নিজস্ব স্পেসিফিকেশন অনুসারে সোর্স কোড পরিবর্তন করতে পারে। <ref>http://www.idc.com/prodserv/smartphone-os-market-share.jsp</ref> এইভাবে অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীরা নির্মাতার উপর নির্ভর করে ভিন্ন অভিজ্ঞতা পেতে পারেন। এটি বৈচিত্র্য এবং পছন্দ বৃদ্ধির কারণে উপকারী বলে মনে করা হয়, তবে বিভিন্ন অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং ডিভাইসের মধ্যে মানের বৈষম্যের জন্য এটি সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছে।
'''কাস্টমাইজেবিলিটি'''
অ্যান্ড্রয়েডে, কাস্টমাইজেশনকে প্রকাশ্যে উৎসাহিত করা হয় এবং তাই এটি অনেক হ্যাকারের কার্যত পছন্দ। কাস্টমাইজেশনের এই সুযোগটি ব্যাপক, যেখানে ব্যবহারকারীরা আরও জটিল কাজ করতে পারবেন, যেমন সোর্স কোডে অবদান রাখা এবং প্রচলিত কাস্টমাইজেশনের ত্রুটিগুলো সনাক্ত করা, যেমন টোয়াইলাইট এবং এয়ারড্রয়েডের মতো অ্যাপ ইনস্টল করা এবং অ্যাপ আইকন পরিবর্তন করা। সোর্স কোডটি উপলব্ধ এবং ব্যবহারকারীদের ইচ্ছানুযায়ী ব্যবহার করার জন্য প্রস্তুত। কাস্টমাইজেশনের সাথে এর ইতিবাচক প্রভাবের দুটি ধারণা রয়েছে; অভ্যন্তরীণ এবং বাহ্যিক। অভ্যন্তরীণ বলতে ব্যবহারকারীর নিজস্ব কাস্টমাইজেশন সম্পাদনের মাধ্যমে অর্জিত সন্তুষ্টি বোঝায়, অন্যদিকে বহির্মুখী বলতে কাস্টমাইজেশনের ফলে হওয়া উন্নতির মাধ্যমে ব্যবহারকারীর সন্তুষ্টি বোঝায় ঠিক যেমন আপনি অ্যাপ ডিজাইন করতে এবং [[গুগল প্লে|গুগল প্লে স্টোরে]] অফার করতে সক্ষম হন, আপনি স্টোরের সোর্স কোডও পরিবর্তন করতে পারেন। এই উন্মুক্ততার ফলে অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ ডাউনলোডের সংখ্যা আইওএস-এর চেয়ে বেশি হয়ে গেছে, যদিও এটি অ্যান্ড্রয়েড এবং অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ ডেভেলপারদের উপর একটি বড় নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে: রাজস্ব হ্রাস। গুগল প্লে অ্যাপলের [[App store (IOS)|অ্যাপ স্টোরের তুলনায় ৭০% কম আয় করে।]]
'''ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা'''
অ্যান্ড্রয়েডের সাথে সঠিক ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা নির্মাতাদের মূল সোর্স কোডের পরিবর্তনের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হয়, যদিও প্রযুক্তি সম্প্রদায়ে সাধারণীকরণ করা যেতে পারে এবং করা হয়েছে। অ্যান্ড্রয়েডের খ্যাতি আইওএসের মতো 'পরিষ্কার' না হওয়া এবং 'খাটো' হওয়ার জন্য ওপেন সোর্স উৎসের কারণে, এর নকশাটি তার প্রতিযোগীর মতো পরিশীলিত বলে বিবেচিত হয় না এবং 'কার্টুনিশ' হওয়ার জন্য আরও সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছে। অন্যান্য অপারেটিং সিস্টেমের সাথে অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতার তুলনা করে করা একটি জরিপে দেখা গেছে যে এটি IOS এর তুলনায় কম স্কোর করেছে (৫৭.২৫ থেকে ৭৩.২৫) ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো প্রাথমিকভাবে ব্যবহারের সহজতা, বিশেষ করে একজন অ-প্রযুক্তিগত ব্যবহারকারীর জন্য। আরেকটি জরিপে দেখা গেছে যে অ্যান্ড্রয়েডের জ্ঞানীয় লোড সবচেয়ে বেশি, সংশ্লিষ্ট IOS এর তুলনায় চার গুণ বেশি। ধারণা করা হচ্ছে,অ্যান্ড্রয়েড স্বাভাবিকভাবে ব্যবহার করতে আইওএসের তুলনায় বেশি সময় নেয়।
'''গোপনীয়তা'''
অ্যান্ড্রয়েড বিজ্ঞাপন লাইব্রেরিগুলোর উপর গবেষণায় দেখা গেছে যে বিজ্ঞাপনগুলো ব্যবহারকারীর অবস্থান, পরিচিতি, ফোন নম্বর সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহ করতে পারে এবং এমনকি ক্যামেরা এবং মাইক্রোফোনেও প্রাপ্যতা পেতে পারে এটি বিজ্ঞাপনগুলোকে সংগৃহীত তথ্যের উপর ভিত্তি করে তাদের ব্যবহারকারীকে আরও ভালভাবে লক্ষ্য করতে দেয়। যখন কোনও বিজ্ঞাপন আপনার নাম, ঠিকানা এবং সহযোগীদেরও শনাক্ত করতে সক্ষম হয়, তখন এটি আরও গুরুতর গোপনীয়তার সমস্যা হয়ে উঠতে পারে। এটি অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস প্ল্যাটফর্মের জন্য একটি সমস্যা। দেখা গেছে যে গ্রাহকরা প্রায়ই ডিফল্ট গোপনীয়তা বিকল্পগুলোতে সম্মতি জানান। এর ফলে গোপনীয়তা কর্মীরা 'অপ্ট ইন' বৈশিষ্ট্যের জন্য প্রচারণা চালাচ্ছেন, যেমনটি ইইউতে দেখা যায়। এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা একটি বিজ্ঞাপনের প্রাপ্যতা সম্পর্কে আরও স্বচ্ছ ধারণা দিচ্ছেন। যদিও অ্যাপের গোপনীয়তার স্পেসিফিকেশনের জন্য অ্যান্ড্রয়েড সমালোচিত হয়েছে, তবুও অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস উভয়কেই এই আইনগুলো মেনে চলতে হবে। এটি ব্যবহারকারীকে অ্যাপের গোপনীয়তা চুক্তি গ্রহণ বা প্রত্যাখ্যান করার সুযোগ দেয় কিন্তু পরবর্তী সময়ে এতে কোনও পরিবর্তন আনে না। বিপরীতে, IOS ব্যবহারকারীকে গোপনীয়তা চুক্তি গ্রহণের পরে একটি অ্যাপের নির্দিষ্ট প্রাপ্যতা নিষ্ক্রিয় করার সুযোগ দেয়, যেমন ক্যামেরা প্রাপ্যতা নিষ্ক্রিয় করা।
'''ওয়েব ব্রাউজার'''
অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীকে তাদের পছন্দের ডিফল্ট ওয়েব ব্রাউজার নির্ধারণ করতে দেয়। এটি গুগল প্লে স্টোর থেকে একটি তৃতীয় পক্ষের অ্যাপ অধিগ্রহণের মাধ্যমে করা হয় তবে অ্যান্ড্রয়েডের অ্যাপল-বিকশিত ব্রাউজার [[সাফারি (ওয়েব ব্রাউজার)|সাফারিতে]] প্রাপ্যতা নেই; আইওএসের তুলনায় ব্যবহারকারীদের তাদের পছন্দের ব্রাউজারটি সম্পূর্ণরূপে পরিবর্তন করার সুযোগ দেওয়ার জন্য অ্যান্ড্রয়েড প্রশংসিত হয়েছে, যেখানে সাফারি অন্তর্নির্মিত এবং আনইনস্টল করা যায় না।
'''প্রাপ্যতা এবং সামঞ্জস্য'''
IOS উপলব্ধ এবং শুধুমাত্র Apple পণ্যের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এই বৈশিষ্ট্যটি সমালোচিত হয়েছে কারণ এর অর্থ হলো অ্যাপ স্টোর এবং গুগল প্লে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়, তাই ব্যবহারকারীরা অ্যাপগুলোতে একই স্তরের প্রাপ্যতা পান না। যদিও অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম ওপেন সোর্স, গুগল প্লে নয়। শুধুমাত্র অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীরা এটি ব্যবহার করতে পারবেন। আইওএসের বাজার শেয়ার ১৩.৯। % <ref>http://www.idc.com/prodserv/smartphone-os-market-share.jsp</ref> মানে IOS ব্যবহারকারীরা সংখ্যালঘু।
'''কাস্টমাইজেবিলিটি'''
IOS সোর্স কোড কোনওভাবেই ব্যবহারকারীর জন্য কাস্টমাইজযোগ্য নয়। এটি অনেককে ক্ষুব্ধ করেছে এবং জেলব্রেকিংয়ের এখন সাধারণ এবং আইনত অস্পষ্ট প্রথার দিকে পরিচালিত করেছে। এই অনুশীলনের মধ্যে রয়েছে [[ডিজিটাল অধিকার ব্যবস্থাপনা|ডিজিটাল রাইটস ম্যানেজমেন্ট (DRM)]] বিধিনিষেধ উপেক্ষা করা এবং সফটওয়্যার পরিবর্তন করা। এটি মূলত "একটি পরিবর্তিত কার্নেল প্যাচ সেট (কার্নেল অপারেটিং সিস্টেমের তত্ত্বাবধায়ক) ইনস্টল করার প্রক্রিয়া যা আপনাকে স্বাক্ষরবিহীন কোড চালানোর সুযোগ দেয়" হিসাবে ভাবা যেতে পারে। অ্যাপল উন্নত আপডেটের মাধ্যমে জেলব্রেকিং সীমিত করার চেষ্টা করেছে। অ্যাপলের সাপোর্ট পেজে জেলব্রেকিংয়ের অসুবিধাগুলো ব্যাখ্যা করা হয়েছে;
* নিরাপত্তা দুর্বলতা: আপনার ডিভাইস জেলব্রেক করলে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য এবং আপনার iOS ডিভাইস সুরক্ষিত রাখার জন্য তৈরি নিরাপত্তা স্তরগুলো দূর হয়ে যায়। আপনার iOS ডিভাইস থেকে এই নিরাপত্তা ব্যবস্থা সরিয়ে ফেলা হলে, হ্যাকাররা আপনার ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করতে পারে, আপনার ডিভাইসের ক্ষতি করতে পারে, আপনার নেটওয়ার্ক আক্রমণ করতে পারে, অথবা ম্যালওয়্যার, স্পাইওয়্যার বা ভাইরাস প্রবেশ করাতে পারে।
* অস্থিরতা: ডিভাইসের ঘন ঘন এবং অপ্রত্যাশিত ক্র্যাশ, বিল্ট-ইন অ্যাপ এবং থার্ড-পার্টি অ্যাপের ক্র্যাশ এবং ফ্রিজ, এবং ডেটা হারানো।
* ব্যাটারির আয়ু কমে গেছে: হ্যাক করা সফটওয়্যারটির কারণে ব্যাটারি দ্রুত শেষ হয়ে গেছে। এটি একবার ব্যাটারি চার্জ করলেই আইফোন, আইপ্যাড বা আইপড টাচের কাজকর্ম কমিয়ে দেয়।
* অবিশ্বস্ত ভয়েস এবং ডেটা: কল বন্ধ, ধীর বা অবিশ্বস্ত ডেটা সংযোগ, এবং বিলম্বিত বা ভুল অবস্থান ডেটা।
* পরিষেবার ব্যাঘাত: ভিজ্যুয়াল ভয়েসমেইল, আবহাওয়া এবং স্টকের মতো পরিষেবাগুলো ডিভাইসে ব্যাহত হয়েছে অথবা আর কাজ করছে না। এছাড়াও, অ্যাপল পুশ নোটিফিকেশন সার্ভিস ব্যবহারকারী তৃতীয় পক্ষের অ্যাপগুলোর বিজ্ঞপ্তি পেতে অসুবিধা হয়েছে অথবা এমন বিজ্ঞপ্তি পেয়েছে যা অন্য কোনও হ্যাক করা ডিভাইসের জন্য তৈরি। [[আইক্লাউড|iCloud]] এবং Exchange-এর মতো অন্যান্য পুশ-ভিত্তিক পরিষেবাগুলো তাদের নিজ নিজ সার্ভারের সাথে ডেটা সিঙ্ক্রোনাইজ করতে সমস্যায় পড়েছে।
* ভবিষ্যতে সফটওয়্যার আপডেট প্রয়োগ করতে অক্ষমতা: কিছু অননুমোদিত পরিবর্তন iOS-এর এমন ক্ষতি করেছে যা মেরামতযোগ্য নয়। এর ফলে ভবিষ্যতে অ্যাপল-সরবরাহকৃত iOS আপডেট ইনস্টল করার সময় হ্যাক হওয়া আইফোন, আইপ্যাড, বা আইপড টাচ স্থায়ীভাবে অকার্যকর হয়ে যেতে পারে।
'''ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা'''
আইওএস-এর ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতার জন্য অ্যাপল মূলত প্রশংসিত হয়েছে। এটি 'নান্দনিক অখণ্ডতা' এবং 'ধারাবাহিকতা' নীতির উপর নির্ভর করে অ্যাপল উল্লেখ করেছে যে নান্দনিকতার সাথে এটি সৌন্দর্য সম্পর্কে খুব বেশি কিছু নয় বরং, "একটি অ্যাপের চেহারা এবং আচরণ কতটা ভালোভাবে তার কার্যকারিতার সাথে একটি সুসংগত বার্তা পাঠায় তা বোঝায়।" "আইওএস-এর অ্যাপ স্টোরে অ্যান্ড্রয়েডের গুগল প্লে-এর তুলনায় কঠোর নির্দেশিকা রয়েছে।" এটি ইতিবাচক নাকি নেতিবাচক বৈশিষ্ট্য তা নিয়ে মতবিরোধ রয়েছে। IOS-এর 'ধারাবাহিকতা' নীতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ, সমস্ত অ্যাপই মানুষের দ্বারা পর্যালোচনা করা হয়, সম্প্রতি অ্যান্ড্রয়েডও এই বৈশিষ্ট্যটি গ্রহণ করেছে। এটিকে আইওএসের কঠোর নির্দেশিকাগুলো ইতিবাচক বলে গ্রহণযোগ্যতা হিসেবে দেখা হচ্ছে।
'''ওয়েব ব্রাউজার'''
গুগল ক্রোম এবং ফায়ারফক্সের মতো একাধিক ওপেন সোর্স ওয়েব ব্রাউজার আইওএস সহ অ্যাপ স্টোর থেকে ডাউনলোডের জন্য উপলব্ধ। তবে Safari হলো বিল্ট-ইন ইন্টারনেট ব্রাউজার, এবং তাই, খোলা যেকোনো লিঙ্ক Safari তে পুনঃনির্দেশিত হবে ব্যবহারকারীদের দ্বারা Safari প্রশংসিত এবং সমালোচিত উভয়ই হয়েছে। অ্যাপল তার ব্রাউজারগুলো (সাফারি, ক্রোম, ফায়ারফক্স ইত্যাদি) ওয়েবকিট তে চালায় তাই গতি ধারাবাহিকভাবে বেশি থাকে। 'ট্র্যাক করবেন না' বৈশিষ্ট্যটি সমর্থন করার জন্য সাফারিও প্রশংসিত হয়েছে। স্মার্টফোনের গোপনীয়তা নিয়ে উদ্বিগ্ন ব্যক্তিদের জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি বিজ্ঞাপনদাতাদের অনলাইনে আপনার ট্র্যাক করা বন্ধ করে দেয়। তবে আইওএসের মালিকানাধীন প্রকৃতির কারণে, তারা অন্যান্য ওয়েব ব্রাউজারগুলোতে এই ফাংশনের প্রাপ্যতা সীমিত করেছে, তাদের সাফারি ব্যবহারে রাজি করার একটি ধারণাগত প্রচেষ্টা হিসেবে। তৃতীয় পক্ষের ব্রাউজারগুলোতে IOS-এর আরও অনেক বিধিনিষেধ রয়েছে। যেহেতু Safari iOS-এ অন্তর্নির্মিত, তাই সিস্টেম ক্র্যাশ বিশ্বব্যাপী একাধিক ডিভাইসের বেশিরভাগ IOS ব্যবহারকারীকে প্রভাবিত করবে। ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে এই ঘটনাটি ঘটেছিল যখন কোনও ব্যবহারকারী অ্যাড্রেস বারে কিছু অনুসন্ধান করলে একটি বাগ সাফারি ক্র্যাশ করে
==== অ্যান্ড্রয়েড প্ল্যাটফর্ম নিরাপত্তা ====
'''অ্যান্ড্রয়েড নিরাপত্তা প্রতিশ্রুতি'''
অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল প্ল্যাটফর্মের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ এবং ব্যবহারযোগ্য অপারেটিং সিস্টেম হতে চায়, ঐতিহ্যবাহী অপারেটিং সিস্টেমের নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রণগুলোকে পুনঃউদ্দেশ্য দিয়ে:
* ব্যবহারকারীর ডেটা সুরক্ষিত করুন
* সিস্টেম রিসোর্স (নেটওয়ার্ক সহ) সুরক্ষিত করুন
* অ্যাপ্লিকেশন আইসোলেশন প্রদান করুন
এই লক্ষ্যগুলো অর্জনের জন্য, অ্যান্ড্রয়েড এই গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্যগুলো প্রদান করে:
* লিনাক্স কার্নেলের মাধ্যমে অপারেটিং সিস্টেম স্তরে শক্তিশালী নিরাপত্তা
* সকল অ্যাপ্লিকেশনের জন্য বাধ্যতামূলক অ্যাপ্লিকেশন স্যান্ডবক্স
* নিরাপদ আন্তঃপ্রক্রিয়া যোগাযোগ
* আবেদনপত্র স্বাক্ষর
* অ্যাপ্লিকেশন-সংজ্ঞায়িত এবং ব্যবহারকারী-প্রদত্ত অনুমতি
'''অ্যান্ড্রয়েড নিরাপত্তা সমালোচনা'''
অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ্লিকেশনগুলো একটি স্যান্ডবক্সে চলে। এটি সিস্টেমের একটি বিচ্ছিন্ন এলাকা যেখানে সিস্টেমের বাকি সংস্থানগুলোতে প্রাপ্যতা থাকে না, যদি না অ্যাপ্লিকেশনটি ইনস্টল করার সময় ব্যবহারকারী দ্বারা স্পষ্টভাবে প্রাপ্যতাের অনুমতি দেওয়া হয়। যদিও, Felt & Chin (২০১২) এর পর্যবেক্ষণ অনুযাতী, "'স্যান্ডবক্সিং' এবং অনুমতি ব্যবস্থা অ্যাপ্লিকেশনগুলোতে দুর্বলতা এবং বাগের প্রভাব কমায়। কিন্তু ডেভেলপারদের বিভ্রান্তি এবং সীমিত ডকুমেন্টেশনের ফলে অ্যাপ্লিকেশনগুলো নিয়মিতভাবে অপ্রয়োজনীয় অনুমতির অনুরোধ করে। এর ফলে এর কার্যকারিতা হ্রাস পায়"। এর উপরে, এটিও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে যে অ্যান্ড্রয়েডের ফ্র্যাগমেন্টেশন নিরাপত্তার জন্যও একটি সমস্যা। কারণ মূল অপারেটিং সিস্টেমে পাওয়া বাগের প্যাচগুলো প্রায়ই পুরানো এবং কম দামের ডিভাইসের ব্যবহারকারীদের কাছে পৌঁছায় না (কিংসলে-হিউজেস, ২০১৫)। অধিকন্তু, কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় দুর্বলতার উপর গবেষণা চালিয়েছে, যেখানে তারা এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে যে "বিক্রেতাদের প্যাচ এবং আপডেট সহ পুরানো ডিভাইসগুলোকে সমর্থন করতে ব্যর্থতার ফলে সক্রিয় ডিভাইসগুলোর সাতাশি শতাংশেরও বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে" (থমাস, বেরেসফোর্ড এবং রাইস ২০১৪)।
'''নম্বর অনুসারে অ্যান্ড্রয়েড'''
২০১৩ সালের ৩ সেপ্টেম্বরের তথ্য অনুযায়ী গুগল প্লে অ্যাপ স্টোর এক বিলিয়নেরও বেশি অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস সক্রিয় করেছে। আনুমানিক হিসাব অনুসারে, ৪০০ টিরও বেশি অ্যাপ্লিকেশন কমপক্ষে এক কোটি বার এবং ৮০০ টিরও বেশি অ্যাপ্লিকেশন কমপক্ষে পাঁচ কোটি বার ইনস্টল করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এই অ্যাপগুলো হলো গুগল প্লে অ্যাপ যার ডাউনলোড সংখ্যা অনন্য ডিভাইসে এক বিলিয়নেরও বেশি। ২০১৫ সালের ২৫শে জুন তারিখের তথ্য অনুযায়ী এই শীর্ষ বিভাগে স্থান পাওয়ার জন্য ১২টি অ্যাপ্লিকেশন রয়েছে। এগুলোর প্রতিটিই গুগল অথবা ফেসবুকের মালিকানাধীন:
# জিমেইল
# গুগল ম্যাপস
# ইউটিউব
# ফেসবুক
# গুগল সার্চ
# গুগল+
# হোয়াটসঅ্যাপ
# গুগল টেক্সট-টু-স্পিচ
# গুগল বই
# বার্তাবহ
# গুগল হ্যাঙ্গআউট
# গুগল ক্রোম
'''আইওএস প্ল্যাটফর্ম নিরাপত্তা'''
প্রতিটি iOS ডিভাইস সর্বাধিক নিরাপত্তা এবং স্বচ্ছ ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতার জন্য একসাথে কাজ করার জন্য ডিজাইন করা সফটওয়্যার, হার্ডওয়্যার এবং পরিষেবাগুলোকে একত্রিত করে। iOS কেবল ডিভাইস এবং এর ডেটাই সুরক্ষিত রাখে না, বরং সমগ্র ইকোসিস্টেমকে সুরক্ষিত রাখে, যার মধ্যে রয়েছে স্থানীয়ভাবে, নেটওয়ার্কে এবং গুরুত্বপূর্ণ ইন্টারনেট পরিষেবাগুলোর মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা যা কিছু করেন তা। iOS-এর অনেক নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য ডিফল্টরূপে সক্রিয় থাকে, তাই আইটি বিভাগগুলোকে ব্যাপক কনফিগারেশন সম্পাদনের প্রয়োজন হয় না। এবং ডিভাইস এনক্রিপশনের মতো গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্যগুলো কনফিগারযোগ্য নয়, তাই ব্যবহারকারীরা ভুল করেও সেগুলো অক্ষম করতে পারবেন না। অন্যান্য বৈশিষ্ট্য, যেমন টাচ আইডি, ডিভাইসটিকে সুরক্ষিত করা সহজ এবং আরও স্বজ্ঞাত করে ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা উন্নত করে।
'''আইওএস নিরাপত্তা প্রতিশ্রুতি'''
অ্যাপল নিরাপত্তার বিষয়টিকে কেন্দ্র করে iOS প্ল্যাটফর্মটি ডিজাইন করেছে। যখন আমরা সর্বোত্তম সম্ভাব্য মোবাইল প্ল্যাটফর্ম তৈরির লক্ষ্যে যাত্রা শুরু করি, তখন আমরা কয়েক দশকের অভিজ্ঞতা থেকে সম্পূর্ণ নতুন একটি স্থাপত্য তৈরি করি। ফলস্বরূপ, মোবাইল ডিভাইসের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে iOS একটি বড় অগ্রগতি।
আইওএস সিকিউরিটি নিম্নলিখিত বৈশিষ্ট্যগুলো প্রদান করতে চায়:
* সিস্টেম নিরাপত্তা: সমন্বিত এবং সুরক্ষিত সফটওয়্যার এবং হার্ডওয়্যার যা প্ল্যাটফর্ম
আইফোন, আইপ্যাড এবং আইপড টাচের জন্য।
* এনক্রিপশন এবং ডেটা সুরক্ষা: স্থাপত্য এবং নকশা যা ব্যবহারকারীর ডেটা সুরক্ষিত রাখে যদি
ডিভাইসটি হারিয়ে গেলে বা চুরি হয়ে গেলে, অথবা যদি কোনও অননুমোদিত ব্যক্তি এটি ব্যবহার বা পরিবর্তন করার চেষ্টা করে।
* অ্যাপ নিরাপত্তা: এমন সিস্টেম যা অ্যাপগুলোকে নিরাপদে এবং আপস ছাড়াই চালাতে সক্ষম করে
* নেটওয়ার্ক নিরাপত্তা: ট্রান্সমিশনে ডেটার প্রমাণীকরণ এবং এনক্রিপশনের মাধ্যমে শিল্প-মানক নেটওয়ার্কিং প্রোটোকল যা নিরাপদ প্রদান করে ।
* অ্যাপল পে: অ্যাপলের নিরাপদ পেমেন্ট বাস্তবায়ন।
* ইন্টারনেট পরিষেবা: মেসেজিং, সিঙ্কিং এবং ব্যাকআপ।
* ডিভাইস কন্ট্রোল: এমন পদ্ধতি যা ডিভাইসের অননুমোদিত ব্যবহার প্রতিরোধ করে এবং সক্ষম করে। এর মাধ্যমে হারিয়ে গেলে বা চুরি হয়ে গেলে দূর থেকে মুছে ফেলা হবে।
* প্রাইভেসি কন্ট্রোল: iOS এর ক্ষমতা যা লোকেশন প্রাপ্যতা নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যবহার করা যেতে পারে
'''আইওএস নিরাপত্তা সমালোচনা'''
নিরাপত্তা হুমকি মোকাবেলায় অ্যাপলের উন্মুক্ততা নিয়ে বিশেষজ্ঞ এবং সাংবাদিক উভয়ই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। বিশেষ করে তারা আশঙ্কা করছে যে অ্যাপল তার নিরাপত্তা দুর্বলতা সম্পর্কে জনসাধারণকে অবহিত করার জন্য পদক্ষেপ না নিয়ে তার ক্লায়েন্টদের বিপদে ফেলবে। তবে অ্যাপল পণ্যের নিরাপত্তা দুর্বলতা সম্পর্কে জনগণের সচেতনতার অভাব জনসাধারণকে বিভ্রান্ত করার জন্য অ্যাপলের সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। এটি বছরের পর বছর ধরে বেড়েছে (ভিয়েগা, ২০০৯)। এই সমালোচনা অ্যাপলের সময়মতো নিরাপত্তা আপডেট সহ তার পণ্যগুলো আপডেট করতে ব্যর্থতার দিকেও দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। কিছু বিশেষজ্ঞের মতে, সামগ্রিকভাবে, অ্যাপল পণ্যগুলোতে হ্যাকারদের আক্রমণ বা ভাইরাস/ম্যালওয়্যার দ্বারা সংক্রামিত হওয়ার সম্ভাবনা কম, যদিও তারা জোর দিয়ে বলেন যে এটি মূলত অ্যাপল পণ্যগুলোতে আক্রমণে হ্যাকারদের আগ্রহের অভাবের কারণে, যদিও iCloud এবং অ্যাপল ডিভাইসগুলোকে ঘিরে সাম্প্রতিক নিরাপত্তা হুমকিগুলো অন্যথার ইঙ্গিত দেয়।
২০১৩ সালের জুন মাসে দ্য গার্ডিয়ান এবং দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট উভয়ের দ্বারা ফাঁস হওয়া জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার নথি উন্মোচিত হওয়ার পর অ্যাপলের উপর আরেকটি দ্বিধা তৈরি হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। নথিগুলোতে বলা হয়েছে যে অ্যাপল আমেরিকান কোম্পানিগুলোর তালিকায় রয়েছে যারা অভিযোগ করে যে PRISM-এর সাথে সহযোগিতা করে। এটি সরকারকে গোপনে আমেরিকান কোম্পানিগুলোর দ্বারা হোস্ট করা অ-আমেরিকান নাগরিকদের ডেটা প্রাপ্যতা করার সুযোগ দেয় কোনও ওয়ারেন্ট ছাড়াই। সরকারি কর্মকর্তারা এই প্রোগ্রামের অস্তিত্ব স্বীকার করেছেন। এটি থেকে বোঝা যায় যে "এনএসএ-র ওই কোম্পানিগুলোর সার্ভারগুলোতে সরাসরি প্রবেশাধিকার রয়েছে, এবং ফাঁসের আগের বছরগুলোতে প্রোগ্রামের মাধ্যমে সংগৃহীত তথ্যের পরিমাণ দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছিল" (স্যাভেজ, ২০১৩)। অ্যাপল এই প্রোগ্রাম সম্পর্কে কোনও জ্ঞান থাকার কথা অস্বীকার করেছে।
অ্যাপল এখনও iOS নিরাপদ বলে দাবি করে। তবে iOS নিরাপত্তা সংক্রান্ত সাম্প্রতিক কেলেঙ্কারির পর অনেক ব্যবহারকারী ভিন্ন মত পোষণ করবেন। ২০১৫ সালের ২০ সেপ্টেম্বরের দিকে চিহ্নিত সর্বশেষ নিরাপত্তা সংক্রান্ত দুর্নীতির ঘটনাগুলো হলো, চীনে অবস্থিত কিছু ডেভেলপার iOS অ্যাপ স্টোরের জন্য অ্যাপ তৈরি করতে ভুল প্রোগ্রাম ব্যবহার করেছেন।<ref>http://www.macworld.co.uk/feature/iosapps/is-ipad-iphone-ios-safe-xcodeghost-what-security-software-need-3453938/</ref> ধারণা করা হচ্ছে যে ডেভেলপাররা Xcode-এর একটি নকল সংস্করণ ডাউনলোড করেছেন। কারণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে হোস্ট করা অ্যাপলের নিজস্ব সার্ভার থেকে ডাউনলোড করতে অনেক সময় লাগছিল। Xcode-এর মোট আকার প্রায় ৩.৯ গিগাবাইট। চীনা ডেভেলপাররা অ্যাপলের নিজস্ব Xcode-এর পরিবর্তে XcodeGhost ব্যবহার করছিলেন। প্রভাবিত অ্যাপগুলো চীনা হলেও সেগুলোর মধ্যে অ্যাংরি বার্ডস ২-এর মতো কয়েকটি জনপ্রিয় অ্যাপ ছিল। যদিও রোভিও নিশ্চিত করেছে যে অ্যাংরি বার্ডস ২-এর শুধুমাত্র চীনা অ্যাপ স্টোর সংস্করণটি ঝুঁকিপূর্ণ।9to5Mac অনুসারে, শীঘ্রই এর সমাধান আসছে। কিন্তু সাম্প্রতিক নিরাপত্তার কৃতিত্বের পাশাপাশি, ২০১৪ সালটি এমন একটি বছর হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে যেখানে IOS-এর নিরাপত্তা দুর্বলতা সর্বকালের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে বেশ কয়েকটি নিরাপত্তা ত্রুটি চিহ্নিত করা হয়েছিল। এর ফলে যদি ব্যবহারকারী একটি অরক্ষিত হটস্পট ব্যবহার করেন, সম্ভবত একটি ইন্টারনেট ক্যাফেতে একজন আক্রমণকারীর পক্ষে ব্যবহারকারীর ডেটা আটকানো সম্ভব হয়েছিল ।
'''সংখ্যা অনুসারে আইওএস'''
অ্যান্ড্রয়েডের পরে iOS হলো বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বাধিক জনপ্রিয় মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আইপ্যাডের বিক্রি অ্যান্ড্রয়েডের চেয়েও পিছিয়ে। যদিও ওয়েব ব্যবহারের (সকল ব্যবহারের জন্য একটি প্রক্সি) দিক থেকে আইপ্যাড (আইওএস ব্যবহার করে) এখনও সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়। ২০১২ সালের মাঝামাঝি সময়ে ৪১ কোটি ডিভাইস সক্রিয় করা হয়েছিল। WWDC ২০১৪-তে, টিম কুক বলেছিলেন, ২০১৪ সালের জুন নাগাদ ৮০০ মিলিয়ন ডিভাইস বিক্রি হয়েছে। ২৭ জানুয়ারি, ২০১৫ তারিখে অ্যাপলের ত্রৈমাসিক আয়ের আহ্বানের সময়, অ্যাপল ঘোষণা করে যে ২০০৭ সাল থেকে তারা এখন এক বিলিয়ন iOS ডিভাইস বিক্রি করেছে (শুধুমাত্র ২০১৪ সালে বিক্রি হওয়া অ্যান্ড্রয়েডের তুলনায় একটু কম)। ১৬ জানুয়ারি, ২০০৯ তারিখে, অ্যাপল তার ওয়েবসাইটে ঘোষণা করে যে ৫০ কোটি অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড করা হয়েছে। বিলিয়নতম অ্যাপ্লিকেশনটি ২৩শে এপ্রিল, ২০০৯ তারিখে ডাউনলোড করা হয়েছিল। ৩ মার্চ, ২০১২ তারিখে, ডাউনলোড করা অ্যাপের সংখ্যা ২৫ বিলিয়নে পৌঁছেছে। ৮ জুন, ২০১৫ তারিখে, অ্যাপল ঘোষণা করে যে অ্যাপ স্টোর ১০০ বিলিয়ন ডাউনলোড অতিক্রম করেছে।
ডিসেম্বর ২০১৪-এর সবচেয়ে বেশি ডাউনলোড হওয়া আইফোন এবং আইপ্যাড অ্যাপগুলোর তালিকা এখানে দেওয়া হলো: (পেইড/ ফ্রি)
# ক্ল্যাশ অফ ক্ল্যানস / অ্যাংরি বার্ডস ২
# মাইনক্রাফট / স্ন্যাপচ্যাট
# আফটারলাইট / ইউটিউব
# প্লেগ ইনকর্পোরেটেড / ফেসবুক
# স্লিপ সাইকেল অ্যালার্ম ক্লক / ইনস্টাগ্রাম
# ফেসটিউন / প্যান্ডোরা রেডিও
# কাট দ্য রোপ ২ / গুগল ম্যাপস
# ব্লুনস টিডি ৫ / ফ্লিপগ্রাম
# একটি অন্ধকার ঘর / স্পটিফাই
# ৭ মিনিট ওয়ার্কআউট চ্যালেঞ্জ / ২০৪৮
=== ওয়েব ব্রাউজার ===
==== ভূমিকা ====
[[ওয়েব ব্রাউজার]] হলো এমন অ্যাপ্লিকেশন যা একসময় ব্যবহারকারীদের ইন্টারনেট প্রাপ্যতা এবং ব্যবহার করার সুযোগ দেওয়ার জন্য ব্যবহার করা হত। কিন্তু প্রযুক্তি যত উন্নত হচ্ছে, ততই আমরা ব্রাউজারটি খোলার জন্য আরও বেশি ব্যবহার খুঁজে পাচ্ছি। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, ব্যবহারকারী ইন্টারফেস এবং এক্সটেনশনের মতো সহজ বৈশিষ্ট্যগুলো গ্রাহকদের মধ্যে সিদ্ধান্ত প্রক্রিয়ার অংশ হয়ে উঠেছে যখন তারা কোন ওয়েব ব্রাউজার ব্যবহার করবেন তা সিদ্ধান্ত নেন।
প্রথম ওয়েব ব্রাউজারটি তৈরি করা হয়েছিল কেবল WorldWideWeb (পরবর্তীতে নামটি নেক্সাসে পরিবর্তিত হয়)। [[টিম বার্নার্স-লি|স্যার টিম বার্নার্স-লি]] ১৯৯০ সালে এটি তৈরি করেন। সময়ের সাথে সাথে এবং প্রযুক্তির উন্নতির সাথে সাথে, সহজেই প্রাপ্যতাযোগ্য ব্রাউজারের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়, যার কিছুক্ষণ পরেই ১৯৯২ সালে Erwise মুক্তি পায় এবং এটি গ্রাফিক্যাল ইউজার ইন্টারফেস সহ প্রথম সাধারণভাবে প্রাপ্যতাযোগ্য ব্রাউজার ছিল। তবে ১৯৯৩ সালে [[মোজাইক (ব্রাউজার)|মোজাইক]] মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই জনসাধারণের কাছে একটি সহজে অতিক্রমযোগ্য লেআউট উপস্থাপন করা হয়েছিল, যেখানে এটি ব্যবহারকারী সকলের জন্য আরও সুগম ব্যবহারকারী ইন্টারফেসের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করা হয়েছিল। মোজাইকে বাস্তবায়িত অনেক বৈশিষ্ট্য এখনও বর্তমান জনপ্রিয় ব্রাউজারগুলোতে বিদ্যমান, যেমন উপরে একটি URL বার এবং পিছনে/ফরোয়ার্ড বোতাম।
বর্তমানে, বাজারে পাঁচটি ব্রাউজার আধিপত্য বিস্তার করছে; [[ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার]], [[মোজিলা ফায়ারফক্স|ফায়ারফক্স]], [[গুগল ক্রোম|গুগল ক্রোম,]] [[সাফারি (ওয়েব ব্রাউজার)|সাফারি]] এবং [[অপেরা (ওয়েব ব্রাউজার)|অপেরা]] । এই পাঁচটি ব্রাউজারে বেশিরভাগই কিছুটা উন্মুক্ত উৎসের। সোর্স কোডের কিছু দিক সকলের জন্য প্রাপ্যতাযোগ্য। এর একমাত্র ব্যতিক্রম ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার। এটি ১৯৯৫ সালে প্রকাশের পর থেকে সম্পূর্ণ মালিকানাধীন।
==== ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের আধিপত্য এবং পতন ====
ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার প্রথম আত্মপ্রকাশ করে ১৯৯৫ সালে যা [[মাইক্রোসফট কর্পোরেশন|মাইক্রোসফট]] দ্বারা উইন্ডোজ ৯৫ অ্যাড-অন প্যাকেজের অংশ হিসেবে তৈরি করা হয়েছিল এবং লঞ্চের সময় এটি অত্যন্ত সফল হয়েছিল। ২০০০-এর দশকের গোড়ার দিকে, ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার বাজারের বেশিরভাগ অংশ দখল করে রেখেছিল, ২০০৩ সালে ৯৫%-এ পৌঁছেছিল। তবে অন্যান্য জনপ্রিয় ওয়েব ব্রাউজারগুলোর উত্থানের সাথে সাথে, বাজারে ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের আধিপত্য এখন প্রায় হাস্যকর বলে মনে হচ্ছে, ব্রাউজারটি অনেক ইন্টারনেট রসিকতার মূল বিষয়। যদিও এটি শীর্ষ পাঁচটি সর্বাধিক ব্যবহৃত ব্রাউজারের মধ্যে রয়ে গেছে, তবুও এর জনপ্রিয়তা এবং খ্যাতি এখনও ক্ষতিগ্রস্ত এবং ক্রমাগত হ্রাস পাচ্ছে এমন ব্যবহারের পরিসংখ্যান তা প্রতিফলিত করে। <ref>http://gs.statcounter.com/#all-browser-ww-monthly-200812-201602</ref>
ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের ইতিহাসে এমন অনেক বিষয় রয়েছে যা মানুষ এর জনপ্রিয়তা হ্রাসের কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছে, যার মধ্যে কিছু বিষয় এই সত্যকে প্রতিফলিত করে যে IE প্রকৃতিগতভাবে সম্পূর্ণ মালিকানাধীন। প্রথমত, ২০০১ সালে ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের ষষ্ঠ প্রধান সংস্করণ, IE6- এর মুক্তিকে এই মুহূর্তগুলোর মধ্যে একটি বলে মনে করা হয়। [[ম্যালওয়্যার]] এবং অন্যান্য নিরাপত্তা লঙ্ঘনের বৃহৎ সমস্যা দেখা দেওয়ার সাথে সাথে, বিশেষজ্ঞরা ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার ব্যবহারকারীদের অন্যান্য নির্ভরযোগ্য ব্রাউজারে স্যুইচ করার পরামর্শ দিতে শুরু করেছেন। <ref>https://www.schneier.com/blog/archives/2004/12/safe_personal_c.html</ref> ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের একটি সাধারণ অভিযোগ হলো এই ধরণের সমস্যা আবিষ্কার করা এবং সমস্যাটি সমাধানের জন্য একটি প্যাচ প্রকাশ করার মধ্যে সময় লাগে। এটি প্রায়ই এর মালিকানাধীন প্রকৃতির কারণে হয়। এই ধরনের সমস্যা সমাধানের জন্য একটি নিবেদিতপ্রাণ দল থাকার অর্থ হলো, যখন কোনও পরিচিত সমস্যা দেখা দেয় তখন সহায়তা পাওয়া সহজ হয়, তবে নিরাপত্তার বিষয়গুলোর সমাধান খুঁজে বের করার ক্ষেত্রে, ওপেন সোর্স উপাদানগুলো প্রায়ই সম্প্রদায়গুলোকে দ্রুত সমাধান খুঁজে বের করার জন্য বিনিয়োগ করে এবং তাই তারা একটি পৃথক দলের চেয়ে দ্রুত সমাধান তৈরি এবং প্রকাশ করতে পারে।
ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের পতনের কথা বলার সময় আরেকটি আকর্ষণীয় বিবেচ্য বিষয় হলো হার্ডওয়্যার IE এর সাথে সম্পর্কিত। ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার প্রায়ই মাইক্রোসফট পণ্যের সাথে প্যাকেজ করা হয়, বিশেষ করে উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম এবং এক্সবক্স ৩৬০। তবে যখন ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার প্রাধান্য পেয়েছিল, তখন এটি আরও অনেক ডিভাইসে প্রাপ্যতাযোগ্য ছিল, বিশেষ করে [[ম্যাকিন্টশ|ম্যাকিনটোশ কম্পিউটারে]] । ম্যাকিনটোশ ব্যবহারকারীদের মধ্যে জনপ্রিয় হওয়া সত্ত্বেও, মাইক্রোসফট ঘোষণা করে যে তারা ২০০৫ সালে ম্যাকিনটোশ কম্পিউটারে ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের ডেভেলপমেন্ট বন্ধ করার পরিকল্পনা করছে। যেহেতু IE একটি মালিকানাধীন ব্রাউজার, তাই এটি ডেভেলপমেন্টের দৃষ্টিকোণ থেকে অনেক অর্থবহ। এটি উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের ডেভেলপমেন্টের উপর আরও বেশি মনোযোগ দেওয়ার সুযোগ করে দেয়। তবে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্নতার ফলে বাজারের একটি বৃহৎ অংশ সম্পূর্ণরূপে প্রাপ্যতাযোগ্য হয়ে ওঠে না, এমন একটি সমস্যা যা সফটওয়্যারটি ওপেন সোর্স হলে বিদ্যমান থাকত না। এই কোড ব্যবহারের মাধ্যমে, ম্যাকিনটোশ ব্যবহারকারীরা নিজেরাই সফটওয়্যারটি আপডেট করতে পারবেন এবং তাদের পছন্দের কম্পিউটারে চালানোর জন্য ব্রাউজারগুলো আপডেট করার পদ্ধতিগুলো বের করতে পারবেন। এই বিশেষ উদাহরণে, মনে হচ্ছে একটি ওপেন সোর্স ব্রাউজার থাকা বৃহত্তর দর্শকদের কাছে পৌঁছানোর ক্ষেত্রে আরও উপকারী।
==== ফায়ারফক্সের আধিপত্য এবং পতন ====
২০০৪ সালের শেষের দিকে, [[মোজিলা|মজিলা]] ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে মজিলা ফায়ারফক্স প্রকাশ করে। এটি সম্পূর্ণরূপে ওপেন সোর্স ওয়েব ব্রাউজার। এটি এর গতি, নিরাপত্তা এবং ব্রাউজার এক্সটেনশনের মতো নতুন বৈশিষ্ট্যগুলোর জন্য ব্যাপক প্রশংসা লাভ করে, যাকে অ্যাড-অনও বলা হয়। অধিকন্তু, ওপেন সোর্স ইন নেচার হওয়ায় ফায়ারফক্স ব্যবহারকারীদের ইন্টারনেটের সাথে কীভাবে যোগাযোগ করা যায় সে সম্পর্কে আরও স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছিল। এটি মজিলা ম্যানিফেস্টোর দ্বিতীয় দাবি "ইন্টারনেট একটি বিশ্বব্যাপী পাবলিক রিসোর্স যা উন্মুক্ত এবং প্রাপ্যতাযোগ্য থাকা উচিত" দ্বারা সবচেয়ে ভালোভাবে অনুমান করা হয়েছে। <ref>https://www.mozilla.org/en-GB/about/manifesto/</ref>
একটি ওপেন সোর্স ব্রাউজার হিসেবে, ফায়ারফক্স তৃতীয় পক্ষের ডেভেলপমেন্ট থেকে উপকৃত হয়, বিশেষ করে অ্যাড-অনগুলোর মাধ্যমে যা ব্যবহারকারীদের ব্রাউজারটি কীভাবে কাজ করে তা নিয়ন্ত্রণ করতে দেয়। ফায়ারফক্সের কোড সকলের জন্য উপলব্ধ হওয়ার সাথে সাথে, গ্রাহকদের তাদের ব্রাউজিং অভিজ্ঞতায় ইচ্ছামত বৈশিষ্ট্য যোগ করার জন্য এক্সটেনশন তৈরি করার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল, যেমন অ্যাডব্লকের মতো এক্সটেনশন ব্যবহার করে অবাঞ্ছিত বিজ্ঞাপন অপসারণ করা। আরও সুন্দরভাবে, ফায়ারফক্স কাস্টম ব্যবহারকারী থিমগুলোকেও সমর্থন করেছিল। এটি ব্যবহারকারীদের ব্রাউজারের চেহারা এবং রঙের স্কিম পরিবর্তন করার সুযোগ দেয়। এটি আরও উপযুক্ত ব্রাউজিং অভিজ্ঞতা তৈরি করে। নিরাপত্তা সমস্যার সমাধান দ্রুত খুঁজে পাওয়া যায় এবং ওপেন সোর্স প্রোগ্রামগুলো আরও সুরক্ষিত হওয়ার সাথে সাথে, ফায়ারফক্স তাৎক্ষণিকভাবে জনপ্রিয়তা অর্জন করে, বিশেষ করে তার প্রধান প্রতিযোগী ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার ৬-এর তুলনায়।
তবে ফায়ারফক্সের পরিষেবা হিসেবে একটি প্রধান সমস্যা হলো আপডেট এবং এর মধ্যে থাকা বিষয়বস্তুর ক্ষেত্রে এর নির্ভরযোগ্যতা। ফায়ারফক্সের অনেক আপডেটই ছোটখাটো প্রকৃতির এবং সম্প্রদায়-ভিত্তিক হওয়ায়, গ্রাহকদের আগ্রহের জন্য খুব কমই নতুন, বৃহৎ পরিসরের বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এর ফলে ফায়ারফক্স ব্যবহারকারীদের একটি নিবেদিতপ্রাণ সম্প্রদায় তৈরি হয়। কিন্তু নতুন ব্যবহারকারীর সংখ্যা কম হয়। যদিও ফায়ারফক্সের স্থিতিশীলতা ধারাবাহিকভাবে ভালো রয়ে গেছে, ছোটখাটো সম্প্রদায়-চালিত বাগ সংশোধনের বাইরে প্রভাবশালী উন্নতির অভাবের ফলে এর ব্যবহারের পরিসংখ্যান কিছুটা স্থবির হয়ে পড়েছে। <ref>http://www.digitaltrends.com/computing/internet-explorer-chrome-and-firefox-market-share-for-october/</ref>
==== গুগল ক্রোমের উত্থান ====
২০০৮ সালে গুগল তাদের নিজস্ব ওয়েব ব্রাউজার, গুগল ক্রোম দিয়ে ব্রাউজার যুদ্ধে প্রবেশ করে। মুক্তি পাওয়ার পর থেকে, ক্রোমের জনপ্রিয়তা কেবল বৃদ্ধি পেয়েছে, বর্তমানে এটি বাজারে আধিপত্য বিস্তার করেছে এবং ফেব্রুয়ারি ২০১৬ পর্যন্ত মোট ব্যবহারের ৪৭.৭৭% ব্যবহার রয়েছে। গুগল ক্রোম একটি ফ্রিওয়্যার, যার অর্থ এর কিছু উপাদান রয়েছে যা প্রকৃতিগতভাবে মালিকানাধীন, তবে এর বেশিরভাগ কোডই ওপেন সোর্স। এর জনপ্রিয়তার পেছনে অনেক বৈশিষ্ট্য রয়েছে, এর সহজলভ্য, ন্যূনতম ইন্টারফেস এবং গতি মাত্র কয়েকটি।
ওপেন সোর্স হওয়ায় ফায়ারফক্সের মতোই ক্রোম উপকৃত হয়েছে, ঘন ঘন আপডেট, থিম এবং ব্রাউজার এক্সটেনশনের মতো বৈশিষ্ট্যগুলো ক্রোম ব্যবহারকারীদের জন্য উপলব্ধ। যদিও ফায়ারফক্সের ওপেন সোর্স প্রকৃতি এটিকে প্রাথমিকভাবে জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি করেছিল, একই রকম বৈশিষ্ট্য এবং সুপরিচিত আইটি কোম্পানি গুগলের সাথে সংযোগ ক্রোমকে তার আধিপত্য প্রতিষ্ঠার জন্য প্রয়োজনীয় রিলিজের সময় তা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করেছিল। [[ক্রোমিয়াম (ওয়েব ব্রাউজার)|ক্রোমিয়াম]] ক্রোমের সোর্স কোডে সহজে প্রাপ্যতাের সুযোগ করে দেওয়ার ফলে, ইচ্ছুকদের আউটসোর্সিং করে ক্রোমের জন্য লিনাক্স এবং ম্যাক ওএস এক্স পোর্টের কিছু ডেভেলপমেন্ট কাজ সহজ করা হয়েছে। <ref>http://arstechnica.com/information-technology/2008/09/google-unveils-chrome-source-code-and-linux-port/</ref> এর ফলে গুগলকে ইউজার ইন্টারফেস উন্নত করার এবং ব্রাউজারের আরও ভালো বিজ্ঞাপন দেওয়ার মতো বৈশিষ্ট্যগুলোতে মনোনিবেশ করার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছিল, এই সুযোগটি কাজে লাগিয়ে যে সার্চ ইঞ্জিন গুগল তাদের ব্রাউজার প্রচারের জন্য একটি সাধারণভাবে ব্যবহৃত পরিষেবা ছিল। তাদের কোডের ওপেন সোর্সিংয়ের মাধ্যমে ঘন ঘন আপডেটের সুযোগ দেওয়া হয় এবং নির্ভরযোগ্য এবং দ্রুত পরিষেবা পাওয়া যায়, তাই গুগল ক্রোম কেন জনপ্রিয়তার দিক থেকে এগিয়ে চলেছে তা স্পষ্ট।
'''http://www.telegraph.co.uk/technology/news/9163335/Whats-behind-the-rise-of-Google-Chrome.html'''
== ওপেন সোর্স সফটওয়্যার কী? ==
ওপেন সোর্স সফটওয়্যার (OSS) হলো গ্নু এবং Linux এর মতো প্রোগ্রাম যা প্রোগ্রামারদের নির্দিষ্ট সফটওয়্যার সম্পাদনা এবং উন্নত করার জন্য সোর্স কোড পরিবর্তন করতে দেয়। মুইর তার ওপেন সোর্স সফটওয়্যার বইয়ে OSS কে "প্রকৃত সোর্স কোডে প্রাপ্যতা" হিসেবে সংজ্ঞায়িত করেছেন। এটি প্রায়ই গ্নু পাবলিক লাইসেন্সের অধীনে পাওয়া যায়। এটি প্রোগ্রামারদের সফটওয়্যার পরিবর্তন করতে এবং এটি পুনরায় বিতরণ করতে দেয়, এই প্রয়োজনে যে তারা এই পরিবর্তনগুলো অন্যান্য ডেভেলপারদের কাছে উপলব্ধ করে।" <ref>Muir, Scott P, and Leggott, Mark, eds. Open Source Software. Bradford, GBR: Emerald Group Publishing Ltd, 2005. ProQuest ebrary. Web. 5 March 2016</ref> এটিকে বিনামূল্যের সফটওয়্যার হিসাবেও পরিচিত করা যেতে পারে তবে আমি এই বাক্যাংশটি থেকে দূরে থাকব কারণ এটি 'মুক্ত বাকস্বাধীনতা'র পরিবর্তে 'মুক্ত জিনিস' ধারণার মতো বিনামূল্যের কথা উল্লেখ করে।
=== ওএসএসের ইতিহাস ===
ধারণা করা হয় যে UNIVAC ('ইউনিভার্সাল অটোমেটিক কম্পিউটার'-এর সংক্ষিপ্ত রূপ) প্রথম ওপেন সোর্স সফটওয়্যার, 'A-2 সিস্টেম' তৈরি করেছিল। এটি ১৯৫৩ সালে তৈরি করা হয়েছিল এবং সেই বছরের শেষ নাগাদ বিতরণ করা হয়েছিল। পণ্যটিতে সোর্স কোডও অন্তর্ভুক্ত ছিল যা ব্যবহারকারীদের প্রদান করা হয়েছিল যাতে তারা (যদি তারা ইচ্ছা করে) পণ্যের উন্নত সংস্করণগুলো UNIVAC-তে ফেরত পাঠাতে পারে <ref>Peter Cohan. (2009). Back to the 1970s: IBM in mainframe antitrust suit again. Retrieved march/3rd, 2016, from http://www.dailyfinance.com/2009/10/09/back-to-the-1970s-ibm-in-mainframe-antitrust-suit-again/</ref> ১৯৬০-এর দশকের আগের যুগে এটা বলা নিরাপদ ছিল যে বেশিরভাগ প্রোগ্রাম বিনামূল্যে ছিল। তবে এগুলো বিনামূল্যে ছিল না কারণ সফটওয়্যার ডেভেলপাররা গ্রাহকদের বাগ ঠিক করতে এবং পণ্যের উন্নতি ফেরত পাঠাতে সাহায্য করার ধারণাটি পছন্দ করেছিলেন যাতে পণ্যটি আরও ভালোভাবে তৈরি করা যায় (যদিও ইউনিভ্যাকের A-2 সিস্টেমটি এর দ্বারা চালিত হয়েছিল) কিন্তু কারণ সেই সময়ে প্রযুক্তি ছিল ভীতিকর এবং খুবই ভয়ঙ্কর। এর আংশিক কারণ ছিল সেই সময়ে সায়েন্স ফিকশন সিনেমার প্রযোজনাগুলোকে ভৌতিক হিসেবে দেখা হত। মানুষের মনে একটা বিরাট ভয় ছিল,যদি কোম্পানিগুলো তাদের কাজের ব্যাপারে স্বচ্ছ না হয়, তাহলে মানুষ পেছনের দরজা দিয়ে বেরিয়ে যাবে, ফলে হ্যাক করা সহজ হবে।
সময়ের সাথে সাথে প্রযুক্তি অনেক উন্নত হতে শুরু করে, এর ফলে প্রতিযোগীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পায় এবং দামও বৃদ্ধি পায়। তবে প্রতিযোগীদের সংখ্যা বৃদ্ধির অর্থ হলো নোংরা কৌশলের প্রবর্তন। এই বাজারটি একসময় একটি অলিগোপলি ছিল এবং আইবিএমের মতো কোম্পানিগুলো এটিকে এভাবেই রাখতে চাইত। ১৯৬৯ সালে কম্পিউটার বাজারের এই বৃহৎ খেলোয়াড়টির বিরুদ্ধে প্রতিযোগিতামূলক মূল্য নির্ধারণের জন্য একটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। <ref>Hopper, Grace. "Keynote Address". Proceedings of the ACM SIGPLAN History of Programming Languages (HOPL) conference</ref>
=== ওএসএস-এর সমালোচনা ===
সময়ের সাথে সাথে OSS মালিকানাধীন সফটওয়্যারের চেয়ে বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এর মূল কারণ হলো এটি বিনামূল্যে, যেখানে মালিকানাধীন সফটওয়্যারের জন্য মানুষকে অর্থ প্রদান করতে হয়। তবে এটি একটি অলাভজনক সম্প্রদায় দ্বারা তৈরি হওয়ায় এর বেশ কিছু অসুবিধা রয়েছে। মালিকানাধীন সফটওয়্যারের তুলনায় OSS ব্যবহারের অনেক সুবিধা রয়েছে। ব্যবসার জন্য প্রধান সুবিধা হলো ওপেন সোর্স হলো বাজারে প্রবেশের ক্ষেত্রে ব্যবসার জন্য আরও বেশি সাফল্য অর্জনের একটি ভালো উপায়। যখন কোনও কোম্পানি OSS ব্যবহারের পরিকল্পনা করে, তখন তারা এমন পণ্য প্রতিষ্ঠা করতে পারে যা নির্ভরযোগ্য, উচ্চমানের এবং শিল্পের মানদণ্ডের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ, যার অর্থ তারা প্রতিদ্বন্দ্বী কোম্পানিগুলোর উপর এগিয়ে থাকতে পারে। এটিকে আরও নির্ভরযোগ্য বলে মনে করা হয় কারণ এতে অনেক স্বাধীন প্রোগ্রামার (যেমন লিনাক্স) সহযোগিতা করতে পারে এবং সাধারণ প্রকাশের আগে এর বাগ এবং সমস্যাগুলো খুঁজে বের করতে পারে। রেনল্ডস, <ref>Carl; Jeremy Wyatt (February 2011). "Open Source, Open Standards, and Health Care Information Systems". JMIR 13. doi:10.2196/jmir.1521</ref> OSS এর আরেকটি সুবিধা এবং অনেক নতুন প্রযুক্তি সংস্থা এটি ব্যবহারের অন্যতম কারণ হলো এটি সস্তা এবং ব্যবহার করা সহজ। মালিকানাধীন সফটওয়্যারের বিপরীতে যেখানে ব্যয়বহুল গবেষণা এবং উন্নয়ন করতে হয়।
OSS ব্যবহারের ফলে একটি কোম্পানি তাদের ব্যবহৃত প্রযুক্তির সাথে আরও নমনীয় হতে পারে। এর ফলে একটি ব্যবসা বাজারে দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানাতে পারে এবং দ্রুত উদ্ভাবন অর্জন করতে পারে। এটি একটি ক্রমাগত অগ্রগতিশীল প্রযুক্তিগত বিশ্বে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। OSS কৌশল ব্যবহারের মাধ্যমে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান অ্যাপল এবং মাইক্রোসফটের মতো বৃহৎ কোম্পানির বিরুদ্ধে সুযোগ পায় কারণ এটি সস্তা। <ref>Sharma, Srinarayan; Vijayan Sugumaran; Balaji Rajagopalan (2002). "A framework for creating hybrid-open source software communities"</ref> OSS-এর আরেকটি সুবিধা হলো, সফটওয়্যারের ডেভেলপাররা তাদের নিজস্ব সফটওয়্যারের মতো ক্ষমতায়িত বোধ করবে, যার অর্থ তারা আরও ভালোভাবে তৈরি পণ্য তৈরি করবে কারণ একজন কর্মী তাদের নিজস্ব তৈরিতে কাজ করার জন্য আরও বেশি অনুপ্রাণিত বোধ করবে। এই মালিকানার বোধের কারণে পণ্য এবং কোম্পানির প্রতি আনুগত্য তৈরি হয়। OSS ব্যবহারকারীদের যদি দক্ষ এবং কম্পিউটারে দক্ষ হন, তাহলে বিরক্তিকর বাগ ঠিক করার জন্য পরবর্তী প্যাচের জন্য অপেক্ষা করতে হবে না।
সামগ্রিকভাবে, OSS ব্যবহার আপনার ব্র্যান্ড এবং এর অর্থ কী তা সংজ্ঞায়িত করতে সাহায্য করে। OSS কে ব্র্যান্ডগুলোর জন্য একটি ইতিবাচক ভাবমূর্তি হিসেবে দেখা হয় কারণ এটি ভেন্ডর লক-ইন (যা মালিকানাধীন লক-ইন নামেও পরিচিত) বা প্যাচের জন্য চার্জিংয়ের ধারণার বিরুদ্ধে দাঁড়ায়। যেসব কোম্পানি OSS ব্যবহার করে তারা সাধারণত ব্যবসায়িক পরিভাষা 'কাইজেন' (ক্রমাগত উন্নতি) তে বিশ্বাস করে, যার অর্থ তারা সর্বদা তাদের মূল্যবান গ্রাহকের কাছে আরও ভালো পণ্য সরবরাহ করতে চায়। এটি এই ধারণার প্রতিনিধিত্ব করে যে প্রযুক্তি মুক্ত হওয়া উচিত। আমাদের সবসময় প্রিমিয়াম মূল্য পরিশোধ করতে হবে না।
বেশিরভাগ জিনিসের মতো অনেক দুর্দান্ত সুবিধার সাথে সাথে কিছু অসুবিধাও থাকতে হবে এবং OSSও এর থেকে আলাদা নয়। গ্রাহকদের চাহিদা শোনার জন্য ডেভেলপারদের উপর বাণিজ্যিক চাপের অভাব রয়েছে। এর অর্থ হলো তারা এমন সফটওয়্যার তৈরি করবে যা গ্রাহকদের চেয়ে তাদের চাহিদা অনুসারে তৈরি করা হবে। পণ্যের গুণমান এতে কাজ করা প্রোগ্রামারদের ধরণের দ্বারাও প্রভাবিত হতে পারে। কারণ OSS-এর সাফল্য অনেকটাই দলীয় কাজের উপর নির্ভর করে। সফটওয়্যারটিতে কাজ করা কিছু প্রোগ্রামারের বিভিন্ন লক্ষ্য থাকতে পারে, সফটওয়্যার সম্পর্কে ধারণা থাকতে পারে যা একে অপরের সাথে সাংঘর্ষিক হতে পারে। ইজেল এবং সোর্সএক্সচেঞ্জের মতো বেশ কয়েকটি ওএসএস প্রকল্পে এটি ঘটেছে। <ref>Sharma, Srinarayan; Vijayan Sugumaran; Balaji Rajagopalan (2002). "A framework for creating hybrid-open source software communities"</ref> বড় কোম্পানিগুলো ওপেন সোর্স সফটওয়্যার ব্যবহার না করার একটি প্রধান কারণ হলো নিরাপত্তা ঝুঁকি। সোর্স কোড দেখানো হলে নিরাপত্তার দুর্বলতা দেখা যাবে যা ত্রুটি খুঁজে বের করা সহজ করে তুলতে পারে। বৃহৎ পরিসরে OSS প্রকল্পের ক্ষেত্রে এটি তেমন একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়, তবে একক ব্যক্তির প্রকল্পের ক্ষেত্রে বড় ধরনের নিরাপত্তা ঝুঁকি থাকতে পারে।
ওপেন সোর্স ব্যবহারের ফলে একই ধরণের জিনিসের ক্লোন তৈরি হয়। এর একটি ভালো উদাহরণ হলো মোবাইল গেম ফ্ল্যাপি বার্ড। যখন এটি সফল হয়, তখন আমরা অ্যান্ড্রয়েডে অনেক অনুরূপ কপি দেখতে পাই। যেখানে ক্লোজড সোর্স সফটওয়্যারের তাদের সফটওয়্যারে কী লাগানো হবে তার উপর বেশি নিয়ন্ত্রণ থাকে <ref>Joab Jackson. Open source vs. proprietary software. Retrieved March/4th, 2016, from http://www.pcworld.com/article/243136/open_source_vs_proprietary_software.html</ref> এর ফলে অনেক OSS প্রকল্প ক্লোন করা হয়। এর ফলে গ্রাহক নিম্নমানের সফটওয়্যারের চাপে পড়ে যান এবং ভালো সফটওয়্যার থেকে বঞ্চিত হন।
ডেভেলপাররা এতে যোগ এবং পরিবর্তন করার সাথে সাথে OSS বাস্তব সময়ে বিকশিত হতে থাকে, যার অর্থ এটি আরও উন্নত মানের হতে পারে। OSS এর সাথে সম্পর্কিত একটি সাধারণ ভুল ধারণা হলো যে এটি মালিকানাধীন সিস্টেমের তুলনায় বেশি নিরাপদ এবং ভাইরাসের ঝুঁকি কম কারণ এর বিপুল সংখ্যক ব্যবহারকারী রয়েছে যারা যেকোনো সমস্যা সমাধানের জন্য সেখানে উপস্থিত থাকে। যদিও এটি সত্য হতে পারে, তবে এটি অগত্যা এটিকে সহজাতভাবে নিরাপদ করে তোলে না। লোকেরা কোডটি দেখে। এর ফলে নিরাপত্তার দুর্বলতাগুলো সহজেই ধরা পড়ে। OSS নিরাপত্তার উপর একটি তদন্তে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে যে OSS কোডকে দৃশ্যমান করে তোলে, তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই, উৎস দৃশ্যমানতা একটি নির্দিষ্ট প্রকল্পের জন্য সৃষ্ট সামগ্রিক নিরাপত্তা ঝুঁকি বাড়াতে খুব কমই সাহায্য করে। নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা জানিয়েছেন,বেশিরভাগ পরিস্থিতিতে, উৎসের দৃশ্যমানতা প্রকল্পের স্থিতিশীলতা এবং নিরাপদ অবস্থার সম্মতিতেও সহায়তা করতে পারে।
<u>সফটওয়্যার</u> সবকিছুই একটি একক অপারেটিং সিস্টেম ইউনিক্স থেকে আসে, মূলত এটি IOS10 সহ ম্যাকের IOS সিস্টেমের ভিত্তি স্থাপন করে। এটি মূলত কোড লেখার পরিবর্তে একটি আগে থেকে তৈরি অপারেটিং সিস্টেম। যদিও এটি প্রায় প্রতিটি অপারেটিং সিস্টেমের ভিত্তি তৈরি করে, এটি খুবই 'বন্ধ'। কিন্তু এটি এই তত্ত্বের পরিপন্থী যে সবাই চায় সবকিছু উন্মুক্ত থাকুক এবং ভাগ করে নেওয়া হোক যাতে আপনি আপনার চাহিদা অনুযায়ী সফটওয়্যারটি সম্পাদনা এবং তৈরি করতে পারেন।
সহজ কথা হলো, সকলেই তাদের চাহিদা অনুযায়ী সফটওয়্যার সম্পাদনা এবং পরিচালনা করতে চায় না। এটা তাদের জন্য খুব জটিল হতে পারে অথবা তারা হয়তো আগ্রহী নাও হতে পারে। কিছু ব্যক্তি কেবল একটি সাধারণ কাজের জন্য কম্পিউটার ব্যবহার করতে চান এবং লগ ইন এবং CLU ব্যবহারের ঝামেলা মোকাবেলা করতে চান না। এই ক্ষেত্রে একটি GUI, গ্রাফিক্যাল ইউজার ইন্টারফেসই যথেষ্ট। এটি দ্রুত, সহজ এবং ব্যবহার করা সহজ। ব্যবহারকারী কী চায় তা আপনাকে বিবেচনা করতে হবে। তারা কি অফুরন্ত কোডিং চায় নাকি মেকানিক্স চায়, তবে কি এটা উন্মুক্ত নাকি বাণিজ্যিকীকরণ করা হবে?
== মালিকানাধীন সফটওয়্যার ==
=== ভূমিকা ===
মালিকানাধীন সফটওয়্যার হলো এমন সফটওয়্যার যা আইনত সম্পূর্ণরূপে এর স্রষ্টা বা স্রষ্টাদের মালিকানাধীন। সাধারণত, মালিকানাধীন সফটওয়্যারের সোর্স কোড দেখার ক্ষমতা এবং এর পরিবর্তনের উপর খুব কঠোর বিধিনিষেধ থাকে। এই সীমাবদ্ধতার কারণে, ব্যবহারকারীর প্রয়োজন অনুসারে প্রোগ্রামটি পরিবর্তন বা সংশোধন করার ক্ষমতা সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ। এই ধরণের সফটওয়্যার (যদিও কখনও কখনও বিনামূল্যে) সাধারণত শুধুমাত্র একটি ফি দিয়ে পাওয়া যায় এবং শুধুমাত্র লাইসেন্সপ্রাপ্ত কী হোল্ডাররা এর উদ্দেশ্যে সফটওয়্যারটি ব্যবহার করতে পারেন।
মালিকানাধীন সফটওয়্যার লাইসেন্স এবং লাইসেন্স চুক্তির মাধ্যমে ব্যবহৃত হয়। ডগলাস ই ফিলিপস তার "সফটওয়্যার লাইসেন্স উন্মোচিত" বইতে রূপরেখা দিয়েছেন : লাইসেন্স আইন কীভাবে সফটওয়্যার প্রাপ্যতা নিয়ন্ত্রণ করে", <ref>Phillips, DE 2009, Software License Unveiled : How Legislation by License Controls Software Access, Oxford University Press, USA, Cary, NC, USA. Available from: ProQuest ebrary. [6 March 2016].</ref> সমস্ত ব্যবহারকারী লাইসেন্স চুক্তি অনুসরণ করে এমন নির্দিষ্ট নির্দেশিকা।
এর মধ্যে রয়েছে:- "আপনি হয়তো ভেবেছেন যে আপনি কিছু কিনেছেন। কিন্তু আপনি তা করেননি। সফটওয়্যারটি লাইসেন্সপ্রাপ্ত, বিক্রি করা হয়নি।"
"আপনি এখন একটি সফটওয়্যার কোম্পানির সাথে একটি চুক্তির পক্ষ। লাইসেন্সটি আপনার এবং সফটওয়্যার প্রদানকারীর মধ্যে একটি আইনত বাধ্যতামূলক চুক্তি।"
"যদি এটি না বলে যে আপনি এটি করতে পারবেন, তাহলে আপনি পারবেন না। সফটওয়্যার প্রদানকারী আপনাকে সফটওয়্যারটি ব্যবহারের সুযোগ দেয়। কিন্তু আপনি এমন কিছু করতে পারবেন না যা লাইসেন্স স্পষ্টভাবে সুযোগ দেয় না। অবশ্যই, আপনাকে এমন কিছু করা থেকেও বিরত থাকতে হবে যা এটি স্পষ্টভাবে নিষিদ্ধ করে। উদাহরণস্বরূপ, আপনি একবারে একাধিক ব্যক্তিকে সফটওয়্যারটি ব্যবহার করতে দিতে পারবেন না; এটি পুনরায় বিক্রয় বা বিপরীত প্রকৌশলী করতে পারবেন; অথবা, যদি সফটওয়্যারটি একটি নির্দিষ্ট ধরণের শেষ ব্যবহারকারীর জন্য মনোনীত করা হয়, তাহলে সেই ধরণের শেষ ব্যবহারকারী না হয়ে এটি ব্যবহার করুন।"
"যদি আপনি এমন কিছু করেন যা এটি বলে না যে আপনি করতে পারবেন (অথবা বলে যে আপনি করতে পারবেন না), তাহলে আপনি সফটওয়্যারটি একেবারেই ব্যবহার করতে পারবেন না। সফটওয়্যারটি ব্যবহারের জন্য আপনার অনুমতি লাইসেন্স চুক্তির সমস্ত শর্তাবলী মেনে চলার উপর নির্ভরশীল, যার মধ্যে আপনার ব্যবহারকে সীমাবদ্ধ করে এমন সমস্ত শর্তাবলীও অন্তর্ভুক্ত। ফলস্বরূপ, যেকোনো শর্ত লঙ্ঘনের ফলে আপনার সমস্ত লাইসেন্স অধিকার নষ্ট হতে পারে এবং আপনি কেবল চুক্তি ভঙ্গকারীই নন, বরং কপিরাইট লঙ্ঘনকারীও হয়ে ওঠেন।"
"যদি সফটওয়্যার কোম্পানি কিছু করতে চায়, তাহলে তা করতে পারে। আপনি সফটওয়্যার প্রদানকারীকে সফটওয়্যারে পণ্য সক্রিয়করণ, পণ্য যাচাইকরণ এবং স্বয়ংক্রিয় আপডেট ফাংশন অন্তর্ভুক্ত করার জন্য নিঃশর্ত অনুমতি দেন। এই ফাংশনগুলো সফটওয়্যারে আপনার প্রাপ্যতাকে প্রভাবিত করতে পারে, এবং সম্ভাব্যভাবে আপনার কম্পিউটারে, এবং সফটওয়্যার এবং আপনার কম্পিউটার সম্পর্কে তথ্য সফটওয়্যার প্রদানকারীর কাছে প্রেরণ করতে পারে।"
"যদি সফটওয়্যারে কিছু ভুল হয়ে যায়, তাহলে তা ঠিক করার জন্য সফটওয়্যার কোম্পানির উপর নির্ভর করবেন না। আপনি সম্মত হন যে সফটওয়্যার সরবরাহকারী আপনাকে খুব কম বা কোনও ওয়ারেন্টি দেয় না এবং সফটওয়্যার ত্রুটির জন্য আপনার কাছে খুব কম বা কোনও দায়বদ্ধতা থাকবে না। আপনি আরও সম্মত হন যে সফটওয়্যার তৃতীয় পক্ষের অধিকার লঙ্ঘন করলে আপনার বিরুদ্ধে যে দাবি হতে পারে তার জন্য সফটওয়্যার সরবরাহকারী দায়ী থাকবে না।" (ফিলিপস, ২০০৯)
মুক্ত সফটওয়্যার আন্দোলন ১৯৮৩ সালে শুরু হয়েছিল। এর প্রবর্তনের পর একদল ব্যক্তি "মুক্ত সফটওয়্যার" শব্দটিকে ওপেন সোর্স সফটওয়্যার (OSS) দ্বারা প্রতিস্থাপন করার পক্ষে মত প্রকাশ করেন। এটি কর্পোরেট জগতের ক্ষেত্রে আরও সুবিধাজনক। সফটওয়্যার ডেভেলপাররা তাদের সফটওয়্যারটি একটি ওপেন সোর্স লাইসেন্স কাঠামোর মধ্যে প্রকাশ করতে চাইতে পারেন যাতে যে কেউ একই সফটওয়্যারটি তৈরি করতে পারে অথবা এর অভ্যন্তরীণ কার্যকারিতা সম্পর্কে আরও ভালভাবে বুঝতে পারে। ওপেন সোর্স সফটওয়্যারের সাহায্যে, যে কেউ এতে পরিবর্তন আনতে, নতুন অপারেটিং সিস্টেম এবং প্রসেসর আর্কিটেকচারে পোর্ট করতে সক্ষম। এটি এটিকে অন্যদের সাথে ভাগ করে নেওয়ার বা কিছু ক্ষেত্রে বাজারজাত করার সুযোগ দেয়।
=== উদাহরণ ===
প্রোপ্রাইটি সফটওয়্যারের সবচেয়ে বেশি ব্যবহারকারীদের মধ্যে একটি হলো [https://www.microsoft.com/en-gb মাইক্রোসফট কর্পোরেশন] । [[উইন্ডোজ এক্সপি]] এবং [[উইন্ডোজ ৮|উইন্ডোজ ৮ এর]] মতো অপারেটিং সিস্টেম থেকে শুরু করে বিশ্বব্যাপী প্রভাবশালী [[মাইক্রোসফট অফিস]] প্রোগ্রাম পর্যন্ত প্রতিটি সফটওয়্যারই সুরক্ষার যথাযথ ব্যবস্থা ব্যবহার করে। মালিকানাধীন প্রোগ্রামগুলোর আরও উদাহরণগুলোর মধ্যে রয়েছে; [http://www.adobe.com/ অ্যাডোবি ফ্ল্যাশ প্লেয়ার], [[আইটিউন্স|আইটিউনস]] এবং [[ম্যাকওএস|ম্যাক ওএস এক্স]] ।
=== সুবিধা ===
মালিকানাধীন সফটওয়্যার ব্যবহারের সুবিধা এবং অসুবিধা উভয়ই রয়েছে। ওপেন সোর্স সফটওয়্যার সিস্টেমের পরিবর্তে মালিকানাধীন সফটওয়্যার সিস্টেম ব্যবহারের সুবিধা হলো যে পণ্যটি ব্যবহার করার সময় আপনার যে কোনও সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে তার জন্য অনেক বেশি নিবেদিতপ্রাণ সহায়তা রয়েছে। যেহেতু মালিকানাধীন সফটওয়্যারটি কোনও কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান দ্বারা তৈরি করা হয় এবং পণ্য হিসেবে বিক্রি করা হয়, তাই কোনও সমস্যা হলে বা সিস্টেম ইনস্টল/সেট আপ করার ক্ষেত্রে যদি তাদের সাহায্যের প্রয়োজন হয়, তাহলে গ্রাহকদের জন্য সর্বদা সহায়তা পাওয়া নিশ্চিত করা কোম্পানির স্বার্থে। এটি ওপেন সোর্স সফটওয়্যার থেকে আলাদা, যেখানে একটি কমিউনিটি সাপোর্ট সিস্টেম বেশি থাকে যেখানে সঠিক সমাধান খুঁজে না পাওয়া পর্যন্ত আপনাকে বিভিন্ন সমাধান অনুসন্ধান করতে হতে পারে। মালিকানাধীন সফটওয়্যার সাধারণত ব্যবসায়িক জগতের চাহিদা পূরণের জন্য এবং বাজারের চাহিদা পূরণের জন্য তৈরি করা হয়। এই কারণে, মালিকানাধীন সফটওয়্যারে প্রায়ই ওপেন সোর্স সফটওয়্যারের তুলনায় বেশি বৈশিষ্ট্য থাকে, উদাহরণস্বরূপ, ওয়ার্ড এবং এক্সেল সহ সমস্ত [[মাইক্রোসফট অফিস]] অ্যাপ্লিকেশনগুলোকে একই সাথে একই কাজে কাজ করার জন্য একসাথে লিঙ্ক করা যেতে পারে।
=== সমালোচনা ===
মালিকানাধীন সফটওয়্যারের একটি প্রধান সমালোচনা হলো যে এই ধরণের সফটওয়্যারের বেশিরভাগই কেবল ক্রয়ের মাধ্যমে পাওয়া যায়। এই ধরণের সফটওয়্যারের দামের পরিসর সস্তা থেকে শুরু করে খুব ব্যয়বহুল পর্যন্ত হতে পারে, উদাহরণস্বরূপ, [[উইন্ডোজ ১০|Windows ১০]] £২৯.৯৯ পর্যন্ত সস্তা হতে পারে। এটি [[অ্যাডোবি ফটোশপ|Adobe Photoshop]] এর মতো অন্যান্য প্রোগ্রামের দাম £২০০০ এ কেনা যাবে। দামের এই পরিসরটি সাধারণ ব্যবহারকারীর জন্য খুবই বিরক্তিকর হতে পারে কারণ একটি কম্পিউটার প্রোগ্রামের জন্য হাজার হাজার পাউন্ড খরচ করা খুবই অযৌক্তিক বলে মনে হয়। মালিকানাধীন সফটওয়্যারের আরও একটি সমালোচনা হলো এর সোর্স কোড দেখতে এবং প্রোগ্রামের কোডিং পরিবর্তন করতে না পারা। ব্যবসায়িক জগতে বিদ্যমান চাহিদা এবং প্রয়োজনীয়তা ক্রমাগত পরিবর্তিত হচ্ছে। এই ক্রমাগত পরিবর্তনশীল পরিবেশের সাথে, মালিকানাধীন সফটওয়্যার প্রায়ই তাদের গ্রাহকদের চাহিদার সাথে তাল মিলিয়ে চলতে পিছিয়ে পড়তে পারে। এটি ওপেন সোর্স সফটওয়্যারের বাজার উন্মুক্ত করে দেয় কারণ ব্যবহারকারীরা চাইলে তাদের উদ্দেশ্য অনুসারে সফটওয়্যারের কার্যকারিতা পরিবর্তন করতে পারেন। মালিকানাধীন সফটওয়্যারে কাস্টমাইজেশন এবং স্ব-উন্নতির অভাবের কারণেই অনেক মানুষ ওপেন সোর্স সিস্টেম ব্যবহার করতে পছন্দ করে।
=== ওপেন সফটওয়্যার বনাম মালিকানাধীন সফটওয়্যার ===
ওপেন সফটওয়্যার মূলত এমন একটি সফটওয়্যার যা সকলের জন্য বিনামূল্যে এবং প্রাপ্যতাযোগ্য। এটি তাদের চাহিদা পূরণের জন্য প্রোগ্রামটি পরিবর্তন করতে দেয়। এটি অনেক কম্পিউটিং ভক্তদের বিশ্বাস করা অনেক মূল থিম এবং ধারণার একটি অনুসরণ করে। তবে একটি খুব বড় নিরাপত্তা ঝুঁকি রয়েছে এবং ওপেন সফটওয়্যার ব্যবহার করার সময় অনেক লাইসেন্সিং আইন বিবেচনায় নিতে হয়। অন্যদিকে মালিকানাধীন সফটওয়্যার আছে যা অর্থায়ন করা হয় এবং আপনাকে এর জন্য অর্থ প্রদান করতে হবে। এর একটি গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ হলো উইন্ডোজ এক্সপি। প্রায়শই মালিকানাধীন সফটওয়্যার হ্যাকারদের তাদের সিস্টেমে থাকা যেকোনো ত্রুটি বা বাগ কাজে লাগাতে বলে। কিন্তু যখন সমস্যাটি শনাক্ত করা হয়, তখন প্রায়ই তারা এই সমস্যা সমাধানের জন্য কিছু করে না। কারণ এতে অন্যান্য পক্ষের আগ্রহ থাকে। ওপেন সফটওয়্যার খুবই উপকারী কারণ এটি একাধিক ব্যক্তিকে একই জিনিসে একসাথে কাজ করার সুযোগ দেয়, যেমন এই প্রকল্পটি। এটি খুবই কার্যকর, ব্যক্তিদের অন্যদের কাজ পর্যালোচনা করার সুযোগ করে দেওয়ার ফলে আরও সমস্যা চিহ্নিত এবং সমাধান করা হবে। ব্যবহারে খুবই উপকারী, ওপেন সফটওয়্যার আপনাকে একসাথে একাধিক ব্যবহারকারী রাখার সুযোগ দেয়, তবে এটির অপব্যবহার না করা গুরুত্বপূর্ণ। কোনও বাগ-মুক্ত সফটওয়্যার নেই, এটি ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং আরও ভালোর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। প্রোপ্রাইটারি সফটওয়্যারে CLI-এর বিপরীতে GUI এবং ইন্টারঅ্যাকশন বেশি থাকে। এটি সাধারণত ওপেন সফটওয়্যারের সাথে সম্পর্কিত। একটি GUI (গ্রাফিক্যাল ইউজার ইন্টারফেস) মূলত ছবির একটি সিরিজ, একটি মেনু। এটি দ্রুত এবং সহজেই ঘুরে দেখা যায় এবং ব্যবহার করা যায়। এটি এমন ব্যবহারকারীদের জন্য খুবই উপকারী যারা কম্পিউটার শিক্ষিত নন এবং কেবল দ্রুত প্রযুক্তি ব্যবহার করতে চান।
== ওপেন সোর্স এবং মালিকানাধীন সফটওয়্যারের ভবিষ্যৎ ==
ওপেন সোর্স পূর্ব-বিদ্যমান নকশা এবং ব্লুপ্রিন্টের পরিবর্তন এবং পুনর্বণ্টনকে সর্বজনীনভাবে অবাধে উপলব্ধ করার সুযোগ দেয়। প্রোগ্রামিংয়ের ক্ষেত্রে ওপেন সোর্সের ভবিষ্যৎ নিঃসন্দেহে অনেক প্রোগ্রামার এবং ব্যবসার দ্বারা ব্যবহৃত হতে থাকবে। [http://www.zdnet.com/ ZDNet] দ্বারা পরিচালিত একটি জরিপে দেখা গেছে, ৭৮% কোম্পানি তাদের অনুশীলনে ওপেন সোর্স সফটওয়্যার ব্যবহারের সাথে খাপ খাইয়ে নিয়েছে। এটি একটি স্মরণীয় পদক্ষেপ কারণ ২০১০ সালে "ওপেন সোর্সের ভবিষ্যৎ" জরিপের প্রতিক্রিয়ায়, মাত্র ৪২% কোম্পানি বলেছিল যে তারা OSS ব্যবহার করে। ৯৩% বলেছেন যে গত বছর ধরে ওপেন সোর্সের ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়েছে অথবা স্থির রয়ে গেছে। বর্তমানে, ৬৪% কর্পোরেশন ওপেন সোর্স প্রকল্পে অংশগ্রহণ করে - যা ২০১৪ সালের তুলনায় ১৪% বেশি। ওপেন সোর্স প্রকল্পে কোম্পানিগুলোর সম্পৃক্ততার অদূর ভবিষ্যতের পূর্বাভাস ৮৮%-এ উন্নীত হবে বলে আশা করা হচ্ছে <ref>http://www.zdnet.com/article/its-an-open-source-world-78-percent-of-companies-run-open-source-software/</ref>
একজন প্রোগ্রামার হিসেবে ওপেন সোর্স সফটওয়্যারের ভবিষ্যৎ ইতিমধ্যেই তাদের দৈনন্দিন জীবনের অংশ। একজন আধুনিক প্রোগ্রামার হিসেবে, আপনার বর্তমান প্রকল্পগুলোর বেশিরভাগই ইতিমধ্যেই অন্যান্য প্রোগ্রামাররা তাদের বিনামূল্যে উপলব্ধ কোড Github-এর মতো ওয়েবসাইটে রেখে সম্পন্ন করেছেন। এর ফলে ব্যবহারকারীরা এই ওপেন সোর্স প্রকল্পগুলো ডাউনলোড এবং শেয়ার করতে পারবেন। <ref>https://github.com/github</ref> আজকাল প্রোগ্রামাররা ইতিমধ্যেই করা কোড পুনরায় লিখতে চান না। অদূর ভবিষ্যতে, প্রোগ্রামাররা কেবল ওপেন সোর্স কোডের কিছু অংশ নেবে এবং সেই প্রকল্পটিকে আরও অনেকের সাথে একত্রিত করে একটি চূড়ান্ত প্রকল্প তৈরি করবে। এটি বিভিন্ন দক্ষতা স্তরের প্রোগ্রামারদের এই ওপেন সোর্স প্রকল্পগুলো বুঝতে এবং বাস্তবায়ন করতে সাহায্য করে, এছাড়াও প্রোগ্রামারদের একটি প্রকল্প সম্পূর্ণ করার জন্য সময় এবং অর্থ সাশ্রয় করে।
ওপেন সোর্স সফটওয়্যারের ভবিষ্যৎ আমাদের সমাজের প্রযুক্তির অগ্রগতির উপর নাটকীয় প্রভাব ফেলবে। এর একটি উদাহরণ হতে পারে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি হেডসেট, ওকুলাস রিফট। এই হেডসেটের সম্পূর্ণ সোর্স কোড ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে জনসাধারণের জন্য প্রকাশ করা হয়েছিল। <ref>http://www.forbes.com/sites/jasonevangelho/2014/01/10/rumor-oculus-rift-will-launch-summer-2014-for-less-than-499/#fe6788046985</ref> এই হেডসেটটি সম্পূর্ণরূপে ওপেন সোর্স হওয়ার পর এই পণ্যটির অগ্রগতি অসাধারণ। ২০১৪ সালে ওকুলাস রিফটসের সোর্স কোড প্রকাশের পর এটি স্যামসাং গিয়ার ভার্চুয়াল রিয়েলিটি হেডসেটের মতো নতুন ভার্চুয়াল রিয়েলিটি হেডসেটগুলো বুঝতে এবং তৈরি করতে সহায়তা করেছে। <ref>http://www.samsung.com/uk/consumer/mobile-devices/wearables/gear/SM-R320NPWABTU</ref>
বিল গেটস ১৯৯৪ সালের পর জন্মগ্রহণকারী শিশুদের ইন্টারনেটের সাথে বেড়ে ওঠা প্রথম প্রজন্ম হিসেবে উল্লেখ করেছেন। ১০-১২ বছর বয়সী ৯০% শিশু অনলাইন গেম খেলে। <ref>https://hbr.org/2012/04/the-mobile-re-generation</ref> যেহেতু এই শিশুদের মধ্যে প্রযুক্তি তাদের জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ, তাই এখন অনেক স্কুলে প্রোগ্রামিং শেখানো হচ্ছে। শিশুদের প্রোগ্রামিং দক্ষতা বিকাশের জন্য এখন প্রোগ্রামিং ক্লাব প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। <ref>http://coderdojostirling.com/</ref> এর থেকে বোঝা যায়,প্রযুক্তির ব্যবহার বছরের পর বছর ধরে বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে ওপেন সোর্সের ব্যবহারও বৃদ্ধি পাবে। সকল বয়সের শিশুরা তাদের নিজস্ব আনন্দের জন্য প্রকল্পগুলো সম্পন্ন করার জন্য ওপেন সোর্স সফটওয়্যার ব্যবহার করে। এখন স্কুলে শিশুরা প্রোগ্রামিং শিখছে, তাই অনলাইন ইন্টারেক্টিভ প্রোগ্রামিং ক্লাসগুলো ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। <ref>https://www.codecademy.com/learn</ref> বেশিরভাগ মানুষের কাছে ইন্টারনেট সহজলভ্য হওয়ার সাথে সাথে, এই ইন্টারেক্টিভ প্রোগ্রামিং ক্লাসের ব্যবহার ক্রমশ বৃদ্ধি পাবে। এর অর্থ হলো, যত বেশি মানুষ প্রোগ্রামিং শিখবে, ওপেন সোর্সের ব্যবহার তত বাড়বে।
'ওপেন সোর্স গ্রাহক এবং ব্যবসার মধ্যে স্বাধীনতা প্রদান করে', <ref>http://open-source.gbdirect.co.uk/migration/benefit.html#flexibilityfreedom</ref> কিছু মালিকানাধীন সফটওয়্যার নমনীয় বলে দাবি করে কিন্তু নমনীয়তা সৃজনশীলতাকে বোঝায় এবং ওপেন সোর্স সফটওয়্যার ব্যবহারের মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা কোনও সীমা ছাড়াই তাদের নিজস্ব প্রয়োজনের জন্য নিজস্ব সফটওয়্যার তৈরি করতে পারে। ওপেন সোর্স সফটওয়্যার ব্যবহারকারীদের নিয়ন্ত্রণে থাকতে, তাদের নিজস্ব সিদ্ধান্ত নিতে এবং তারা যা চায় তা করতে সাহায্য করে। <ref>http://www.pcworld.com/article/209891/10_reasons_open_source_is_good_for_business.html</ref> আজকাল মানুষ জানে তারা কী চায় এবং কীভাবে তারা কাজ করতে চায়, এবং প্রযুক্তি আমাদের জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে ওঠার সাথে সাথে ওপেন সোর্স সফটওয়্যারের ব্যবহারও বৃদ্ধি পাবে।
মানুষ এমন ব্যক্তি যারা নিজের সিদ্ধান্ত নিতে এবং স্বাধীনভাবে কাজ করতে পছন্দ করে এবং ওপেন সোর্স এই ধারণাকে সম্পূর্ণরূপে সমর্থন করে। ওপেন সোর্সের ভবিষ্যৎ খুবই ইতিবাচক দেখাচ্ছে; বর্তমানে এটি ইতিমধ্যেই প্রযুক্তিগত জীবনযাত্রার একটি সমন্বিত অংশ। সাধারণত, আজকাল উৎপাদিত প্রতিটি সফটওয়্যারের উন্নয়নে ওপেন সোর্স সফটওয়্যার ব্যবহার করা হয়। বছরের পর বছর ধরে প্রযুক্তিগত অগ্রগতি ওপেন সোর্স সফটওয়্যার ব্যবহারের দ্বারা ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হয়েছে। কারণ প্রতিটি প্রোগ্রামারের হাতে বিশাল ডেভেলপার রয়েছে। এছাড়াও ১৯৯৪ সালের পরে জন্ম নেওয়া শিশুদের দৈনন্দিন জীবনে এখন প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু হয়েছে, তাদের ছোটবেলা থেকেই প্রোগ্রামিং শেখানো হচ্ছে এবং ব্যক্তিরা অনলাইনে ইন্টারেক্টিভ প্রোগ্রামিং ক্লাসেও অংশগ্রহণ করছে। প্রযুক্তির ক্রমাগত অগ্রগতি এবং ব্যবহারের সাথে সাথে এটি অনিবার্য যে সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্টের ক্ষেত্রে ওপেন সোর্স ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হবে কারণ এর অনেক সুবিধা রয়েছে। ভবিষ্যতেও ওপেন সোর্স ব্যবহার অব্যাহত থাকবে, তবে ওপেন সোর্স ইতিমধ্যেই প্রযুক্তিগত উন্নয়নের একটি সমন্বিত অংশ। '''ভবিষ্যৎ এখানেই।'''
== শব্দকোষ ==
== শব্দকোষ ==
সমস্ত শর্তাবলী ইন্টারনেট অফ এভরিথিংয়ের উপরের অধ্যায় থেকে নেওয়া হয়েছে। সমস্ত সংজ্ঞা উইকিপিডিয়া এবং অক্সফোর্ড অভিধান থেকে নেওয়া হয়েছে।
4Chan 4chan একটি ইংরেজি ভাষার ইমেজ বোর্ড ওয়েবসাইট। ব্যবহারকারীরা সাধারণত বেনামে পোস্ট করেন, সাম্প্রতিকতম পোস্টগুলি বাকিগুলির উপরে প্রদর্শিত হয়। 4chan তাদের নিজস্ব নির্দিষ্ট সামগ্রী এবং নির্দেশিকা সহ বিভিন্ন বোর্ডে বিভক্ত। রেজিস্ট্রেশনের প্রয়োজন হয় না, বা এটি সম্ভব নয় (স্টাফ ব্যতীত)।
অ্যান্ড্রয়েড একটি অপারেটিং সিস্টেমের নাম, প্রধানত ম্যাক নয় এমন ডিভাইসগুলিতে ব্যবহৃত হয়।
অনামী অ্যানোনিমাস অ্যাক্টিভিস্ট এবং হ্যাক্টিভিস্ট সত্তাগুলির একটি আলগাভাবে যুক্ত আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক। এই গোষ্ঠীর সাথে নামমাত্র যুক্ত একটি ওয়েবসাইট এটিকে "একটি ইন্টারনেট সমাবেশ" হিসাবে বর্ণনা করে "একটি খুব আলগা এবং বিকেন্দ্রীভূত কমান্ড কাঠামো যা নির্দেশের পরিবর্তে ধারণার উপর কাজ করে"
লেখক লেখার পেশা, লেখার উৎস (লেখক হিসাবে) লেখা, সঙ্গীত বা শিল্পের একটি অংশ।
ক্রিয়েটিভ কমন্স ক্রিয়েটিভ কমন্স একটি অলাভজনক সংস্থা যা বিনামূল্যে আইনি সরঞ্জামগুলির মাধ্যমে সৃজনশীলতা এবং জ্ঞান ভাগ করে নেওয়া এবং ব্যবহার সক্ষম করে।
জ্ঞানীয় লোড ওয়ার্কিং মেমরিতে ব্যবহৃত মানসিক প্রচেষ্টার পরিমাণ।
কাস্টমাইজেবিলিটি আপনাকে আপনার প্রয়োজন অনুসারে কিছু কাস্টমাইজ এবং সম্পাদনা করার অনুমতি দেওয়ার কাজ।
ডারউইন ওপেন সোর্স ইউনিক্স অপারেটিং সিস্টেম যা অ্যাপল দ্বারা নির্মিত এবং ২০০০ সালে মুক্তি পায়।
বিকেন্দ্রীকরণ একটি কেন্দ্রীয় অবস্থান বা কর্তৃপক্ষ থেকে দূরে ফাংশন, ক্ষমতা, মানুষ বা জিনিস পুনরায় বিতরণ বা ছড়িয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া।
ডিজিটাল রাইটস ম্যানেজমেন্ট (DRM) বিভিন্ন প্রাপ্যতা কন্ট্রোল প্রযুক্তি যা মালিকানাধীন হার্ডওয়্যার এবং কপিরাইটযুক্ত কাজগুলির ব্যবহার সীমাবদ্ধ করতে ব্যবহৃত হয়।
একটি নির্দিষ্ট শাসক বা সরকার দ্বারা মালিকানাধীন বা নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলের একটি এলাকা ডোমেন
গুটেনবার্গ ছাপাখানার স্রষ্টা।
হ্যাকার একজন ব্যক্তি যিনি ডেটাতে অননুমোদিত প্রাপ্যতা অর্জনের জন্য কম্পিউটার ব্যবহার করেন।
হ্যাক্টিভিজম হ্যাক্টিভিজম হ'ল রাজনৈতিক বা সামাজিকভাবে অনুপ্রাণিত উদ্দেশ্যে হ্যাকিং বা কম্পিউটার সিস্টেমে প্রবেশ করার কাজ। যে ব্যক্তি হ্যাক্টিভিজমের কাজ করে তাকে হ্যাক্টিভিস্ট বলা হয়।
হার্ডওয়্যার বস্তু যা বাস্তব। এটি আপনি শারীরিকভাবে স্পর্শ করতে এবং সরাতে পারেন। কম্পিউটার হার্ডওয়্যার স্পিকার, কীবোর্ড ইত্যাদি নিয়ে গঠিত।
ল্যাম্প একটি অ্যাব্রেভিয়েশন যা একটি কম্পিউটারের অপারেটিং সিস্টেমকে কভার করে। লিনাক্স, অ্যাপাচি, মাইএসকিউএল, পিএইচপি।
লিনাক্স সফটওয়্যারটির একটি অংশ যা ওপেন সোর্স এবং আপনাকে নিজের অপারেটিং সিস্টেমটি সম্পূর্ণ করতে এবং লিখতে সক্ষম করে। অপারেটিং সিস্টেম ইউনিক্সের ভিত্তি ব্যবহার করে।
মেমস একটি প্রযুক্তি যা তার সবচেয়ে সাধারণ আকারে ক্ষুদ্র যান্ত্রিক এবং ইলেক্ট্রো-মেকানিক্যাল উপাদান (যেমন, ডিভাইস এবং কাঠামো) হিসাবে সংজ্ঞায়িত করা যেতে পারে যা কৌশলগুলি ব্যবহার করে তৈরি করা হয় মাইক্রো ফ্যাব্রিকেশন।
মাইক্রোসফট অফিস মাইক্রোসফট অফিস সিস্টেম মাইক্রোসফট দ্বারা তৈরি কম্পিউটার প্রোগ্রামগুলির একটি সংগ্রহ। প্রোগ্রাম সব ব্যবহারকারীর জন্য তৈরি করা হয়। হোম ব্যবহারকারীদের জন্য এবং ব্যবসায়িক ব্যবহারকারীদের জন্য সফটওয়্যারটির বিভিন্ন সংস্করণ রয়েছে।
নাসা ন্যাশনাল অ্যারোনটিক্স অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন।
ই এম এর নির্মাতারা যারা নিজের নামে এবং ব্র্যান্ডিংয়ের অধীনে অন্য সংস্থার পণ্য পুনরায় বিক্রয় করে।
ওপেন অফিস একটি ওপেন সোর্স অফিস প্রোডাক্টিভিটি স্যুট। সফটওয়্যার মাইক্রোসফট উইন্ডোজ, অ্যাপল ম্যাকস এবং লিনাক্স সহ সমস্ত প্রধান অপারেটিং সিস্টেমের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
ওপেন সোর্স এমন সফটওয়্যার নির্দেশ করা যার জন্য মূল উত্স কোডটি বিনামূল্যে উপলব্ধ করা হয়েছে এবং পুনরায় বিতরণ এবং সংশোধন করা যেতে পারে।
মেরুকরণ সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে (একটি ট্রান্সভার্স তরঙ্গ, বিশেষত আলো) এর কম্পনকে এক দিকে সীমাবদ্ধ করুন।
গোপনীয়তা এমন একটি রাষ্ট্র যেখানে কেউ অন্য লোকেদের দ্বারা পর্যবেক্ষণ বা বিরক্ত হয় না।
মালিকানা সফটওয়্যার যা কোনও ব্যক্তি বা সংস্থার মালিকানাধীন (সাধারণত এটি বিকাশকারী)। এর ব্যবহারের উপর প্রায় সর্বদা বড় বিধিনিষেধ রয়েছে এবং এর উত্স কোডটি প্রায় সর্বদা গোপন রাখা হয়।
সার্ভার একটি কম্পিউটার বা কম্পিউটার প্রোগ্রাম যা একটি নেটওয়ার্কে একটি কেন্দ্রীভূত সম্পদ বা পরিষেবা প্রাপ্যতা পরিচালনা করে।
সফটওয়্যার একটি কম্পিউটার দ্বারা ব্যবহৃত প্রোগ্রাম এবং অন্যান্য অপারেটিং তথ্য।
সিস্টেম একটি প্রক্রিয়া বা একটি আন্তঃসংযোগকারী নেটওয়ার্কের অংশ হিসাবে একসাথে কাজ করা জিনিসগুলির একটি সেট; একটি জটিল সমগ্র।
টেলিটেক্সট পাঠ্য এবং গ্রাফিক্স আকারে একটি সংবাদ এবং তথ্য পরিষেবা, উপযুক্ত রিসিভার সহ টেলিভিশনগুলিতে বিদ্যমান টেলিভিশন চ্যানেলগুলির অতিরিক্ত ক্ষমতা ব্যবহার করে প্রেরণ করা হয়।
dhm3kc6yw5x5t2wnfb1ioghrhepxvob
85812
85811
2025-07-07T23:24:09Z
MS Sakib
6561
85812
wikitext
text/x-wiki
= উন্মুক্ত উৎসের ও মালিকানাধীন প্রযুক্তি =
== ভূমিকা ==
[[সবকিছুর জন্যেই ইন্টারনেট?|"সবকিছুর জন্যেই ইন্টারনেট?"]] উইকিবইয়ের এই অধ্যায়ে উন্মুক্ত উৎসের ও মালিকানাধীন প্রযুক্তির মূল ধারণাগুলো অন্বেষণ করা হবে। ১৯৭০-এর দশকে শুরু হওয়া এই দুই ধরণের সফটওয়্যারের ঐতিহাসিক বিকাশ তাদের স্রষ্টা, অবদানকারী এবং তৈরি প্রযুক্তিগত পণ্যের রেফারেন্সের সাথে পরীক্ষা করা হবে। ১৯৮০ এবং ১৯৯০ এর দশকে উন্নয়ন অব্যাহত থাকার সাথে সাথে [[হ্যাকার সংস্কৃতি|'হ্যাকারদের']] ব্যাপকতা এবং গুরুত্ব আরও প্রাসঙ্গিক হয়ে ওঠে। বিষয়কে ঘিরে নৈতিক যুক্তিগুলোও তাই। এই অধ্যায়ে দুটি বিপরীতমুখী সফটওয়্যারের পরিপ্রেক্ষিতে মেধাস্বত্ব বা [[মেধাস্বত্ব|কপিরাইট]] এবং [[ক্রিয়েটিভ কমন্স লাইসেন্স|ক্রিয়েটিভ কমন্সের]] ধারণাগুলোও বিশ্লেষণ করা হবে। দুটি ভিন্ন সফটওয়্যারের গভীর বিশ্লেষণের মাধ্যমে তাদের ক্ষমতার সুবিধা এবং অসুবিধা সম্পর্কে আলোচনা করা হবে। উন্মুক্ত উৎসের ও মালিকানাধীন সফটওয়্যারের এই ভিত্তিগত গবেষণা ব্যবহার করে এই অধ্যায়টি দুটি সফটওয়্যারের সমসাময়িক উদাহরণ, তাদের অ্যাপ্লিকেশন এবং একই সাথে একাধিক প্ল্যাটফর্মে কাজ করার ক্ষেত্রে তাদের কার্যকারিতা সম্পর্কিত বিতর্কগুলো পর্যালোচনা করা হবে।
== উন্মুক্ত ও মালিকানাধীন সফটওয়্যারের ইতিহাস ==
একজন লেখক এবং লেখকত্বের সারমর্ম হোমার প্রবর্তন করেছিলেন। আগেরকার গল্পগুলো মুখে মুখে বলে পরিবেশিত হত। ফলে মূল দুটি গল্প কখনও হুবুহু এক হতো না। "বার্ড"দের পরিবেশিত এসব গল্পে উন্মুক্ত বাক্যাংশ ব্যবহার করে একটি গল্পের ভিত্তি তৈরি করা হতো। তবে প্রতি দুইটি গল্প একই হতো কিনা, তা এখানে নিশ্চিত করা হতো না।
হোমারই প্রথম ব্যক্তি যিনি কাগজে কলম লাগিয়ে একটি প্রতিলিপি তৈরি করেছিলেন। এর একটি প্রধান উদাহরণ হলো '[[w:ওডিসি|দ্য ওডিসি]]'। এই নতুন ধারণাটি চালু হওয়ার সাথে সাথে হোমার একটি কাল্পনিক জগতকে বৈধতা দিয়েছিলেন। একজন লেখক হওয়ার সাথে সাথেই লেখা বিতরণের চারপাশে একটি সৃজনশীল শিল্প শুরু হয়। লেখার পিছনে কেন আমাদের প্রক্রিয়া আছে এবং কীভাবে সেগুলো কাজ করে এবং বিতরণ করা হয়, সে সম্পর্কে লেখকরা গুরুত্বপূর্ণ। হোমার কপিরাইট আইন এবং রয়্যালটিগুলোতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।
হোমার প্রতিলিপি লেখার আদর্শ প্রবর্তন করার পর স্পষ্ট হয়ে ওঠে, এর কপি ছিল সীমিত। কারণ প্রতিটি কপি হাতে লিখতে হত। প্রায়ই এসব তৈরি করতে কয়েক মাস পর্যন্ত সময় লাগত। এরপর গুটেনবার্গ ১৫০০ সালের দিকে প্রথম ছাপাখানা চালু করেন। এর ফলে কপি করা দ্রুততর হয় এবং লেখকদের পাঠক সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। শেক্সপিয়র মূলত এভাবেই খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। কারণ তিনি দ্রুত ধারাবাহিকভাবে প্রচুর প্রতিলিপি তৈরি করতে সক্ষম হয়েছিলেন। তবে আধুনিক সমাজে আমরা এই যুগান্তকারী আবিষ্কারটিকে হালকাভাবে নিই। কারণ আমরা কোনও দ্বিধা ছাড়াই মূল মালিককে এর রয়্যালটি বা স্বীকৃতি না দিয়েই কোনও কাজের অনুলিপি তৈরি করতে পারি।
বিভিন্ন প্রতিলিপি প্রাপ্যতা করার দ্রুততার কারণে, একটি রেজিস্টার বাস্তবায়ন করা হয়েছিল যাতে কেবলমাত্র নির্দিষ্ট কিছু প্রত্যয়িত ছাপাখানাগুলোকে কেবল নির্দিষ্ট প্রতিলিপি মুদ্রণের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। তাদের একটি নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে মুদ্রণের অনুমতিপ্রাপ্ত সংখ্যার উপরও একটি সীমা ছিল। লেখক যাতে তাদের শ্রেষ্ঠ রচনাগুলোর জন্য খ্যাতি এবং বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করতে পারেন, সেজন্য এটি চালু করা হয়েছিল। স্পষ্টতই এটি ১৫০০ এর দশকের মধ্যে এবং তার পরেও ব্যবহৃত হয়েছিল। আজকের আধুনিক যুগে আমরা লেখকত্ব এবং রয়্যালটি সমর্থন করার জন্য ক্রমাগত কপিরাইট আইন প্রয়োগ করছি।
=== <u>১৯৮০ সালের পূর্ববর্তী</u> ===
==== ইউনিক্স ====
বলা হয় [http://www.unix.org/ ইউনিক্স] হলো কম্পিউটিংয়ের প্রযুক্তিগত অগ্রগতির সূচনা। ১৯৭০-এর দশকের গোড়ার দিকে এটি ছিল সি প্রোগ্রামিং ভাষায় লেখা প্রথম অপারেটিং সিস্টেম। এর মূল স্রষ্টা কেন থম্পসন এবং ডেনিস রিচি ছিলেন বলে বিশ্বাস করা হয়।<ref>http://www.unix.org/what_is_unix/history_timeline.html</ref> এটি ছিল প্রথম উন্মুক্ত উৎসের অপারেটিং সিস্টেম যা যে কেউ বিনামূল্যে যোগ করতে, উন্নত করতে এবং উন্নত করতে পারত।<ref>http://www.unix.org/what_is_unix.html</ref> লিনাক্স সহ এখন পর্যন্ত বেশিরভাগ অপারেটিং সিস্টেমের ভিত্তি ইউনিক্স।
=== <u>১৯৮০–১৯৮৯</u> ===
==== ইউজনেট ====
উন্মুক্ত উৎসের ও মালিকানাধীন প্রযুক্তির সূচনা ১৯৮০ এর দশকের আগেই শুরু হয়েছিল। কিন্তু এই সময়ের আগে খুব বেশি কিছু সহজলভ্য ছিল না। কারণ ১৯৮০ সালের আগে [https://en.usenet.nl/ ইউজনেটের] আগমন ঘটেনি। বিশ্বব্যাপী ভাগাভাগি এবং সহযোগিতার প্রথম উপায় ছিল ইউজনেট। ইউজনেট প্রকাশের সাথে সাথে এটি উন্মুক্ত উৎসের তথ্য ভাগাভাগি এবং ফাইল ভাগাভাগি উভয়েরই সূচনা করে।
==== গ্নু প্রকল্প/মুক্ত সফটওয়্যার আন্দোলন ====
উন্মুক্ত উৎসের ও মালিকানাধীন সফটওয়্যারের পরবর্তী ঐতিহাসিক মুহূর্ত ছিল রিচার্ড স্টলম্যানের দ্বারা গ্নু প্রকল্পের ভূমিকা। [https://www.gnu.org/ গ্নু] হলো ব্যবহারকারীদের স্বাধীনতাকে সম্মান করার আরেকটি অপারেটিং সিস্টেম প্রকল্প। বিভিন্ন উন্মুক্ত উৎসের প্রোগ্রাম দ্বারা এটি করা হয়েছে। অর্থাৎ গ্নু সফটওয়্যার নিজেই তৈরি করে না। গ্নু যখন তৈরি হয়, তখন [http://www.gnu.org/philosophy/free-software-intro.en.html "মুক্ত সফটওয়্যার আন্দোলন"] শুরু হয়েছিল। মুক্ত সফটওয়্যার আন্দোলনের ধারণা হলো কম্পিউটার ব্যবহারকারীদের একটি সম্প্রদায় গঠনের স্বাধীনতা।
==== ৩৮৬বিএসডি ====
১৯৮০-এর দশকের শেষের দিকে [http://www.386bsd.org/ 386বিএসডি-এর] কাজ শুরু হয়। ৩৮৬বিএসডি "জোলিক্স" নামেও পরিচিত। এটি ইউনিক্স থেকে আসা আরেকটি বিনামূল্যের অপারেটিং সিস্টেম। এটি ঐতিহাসিক মুহূর্তগুলোর আরেকটি অগ্রগতি কারণ এটি পরবর্তীতে ফ্রিবিএসডি এবং নেটবিএসডি-এর দিকে পরিচালিত করে।
=== <u>১৯৯০-১৯৯৯</u> ===
==== লিনাক্স ====
এই দশকটি উন্মুক্ত উৎসের ও মালিকানাধীন সফটওয়্যারকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করেছে। অগ্রগতির পাশাপাশি ১৯৯১ সালে লিনাস টরভাল্ডস লিনাক্স তৈরির সিদ্ধান্ত নেন। এটি গ্নু অপারেটিং সিস্টেমের উপর অগ্রসর হয়, যাতে একটি সম্পূর্ণ বিনামূল্যের এবং উন্মুক্ত উৎসের অপারেটিং সিস্টেম প্রদান করা যায়। লিনাক্সের প্রতিষ্ঠাতা ইউনিক্সের নিজস্ব সংস্করণ তৈরি করেছিলেন। তিনি নিজের অপারেটিং সিস্টেম তৈরি করতে চেয়েছিলেন। তবে আপনি হয়তো কল্পনা করতে পারবেন না, ১ কোটি লাইন কোড লিখতে কতটা সময় লাগবে/ তাই তিনি ইন্টারনেটে তার দৃষ্টিভঙ্গি ভাগ করে নেন। ফলস্বরূপ অনেক কম্পিউটার উৎসাহী এতে যোগ দেন। মূলত এটি ছিল একটি কম্পিউটিং সিস্টেম, যা যে কেউ তৈরি ও ব্যবহার করতে সক্ষম। অপারেটিং সিস্টেমটিকে একই সাথে বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম ও মাল্টিমিডিয়ামে সংহত করা একটি চ্যালেঞ্জ ছিল। তবে একবার কার্নেল, অপারেটিং সিস্টেমের ভিত্তি তৈরি হয়ে গেলে বাকিগুলো পালাক্রমে অনুসরণ করা হয়।
==== লাল টুপি বা রেড হ্যাট ====
১৯৯৩ সালে [https://www.redhat.com/en/open-source রেড হ্যাটের] প্রতিষ্ঠা ঘটে। রেড হ্যাট একটি লিনাক্স ডিস্ট্রিবিউশন ভিত্তিক কোম্পানি। এটি প্রমাণ করে যে উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যার অত্যন্ত লাভজনক হতে পারে। তারা তাদের নীতিবাক্য পূরণ করার চেষ্টা করে:<div align="center">
<small>"প্রতিটি সমাধান শুরু হয় সমস্যা ভাগ করে নেওয়ার মাধ্যমে। প্রযুক্তি উন্মুক্তভাবে সমৃদ্ধ হয়, যেখানে মানুষ তাদের ধারণা ভাগ করে নেওয়ার এবং অন্যদের কাজের উপর ভিত্তি করে গড়ে তোলার জন্য স্বাধীন।"</small>
<small>"সৃষ্টি সর্বদা সহযোগিতার একটি কাজ" </small>
</div>
==== MySQL/Java 1.0 ====
১৯৯৫ সালে [https://www.mysql.com/ মাইএসকিউএল] এবং প্রথম [https://java.com/en/ জাভা] সোর্স প্রোগ্রামিং ভাষা উভয়ই প্রকাশিত হয়েছিল। মাইএসকিউএল হলো একটি ওপেন-সোর্স রিলেশনাল ডাটাবেস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম। এটি ISAM ভাষার উপর ভিত্তি করে তৈরি। জাভা ১.০ এর প্রথম পাবলিক রিলিজটিও ১৯৯৫ সালে [https://www.oracle.com/sun/index.html?PHPSESSID=8fd76773d26875481e097a4a27c7a6a1 সান মাইক্রোসিস্টেমস] দ্বারা প্রকাশিত হয়েছিল। ২০০৬ সালে OpenJDK চালু হওয়ার পর সান মাইক্রোসিস্টেম সমস্ত জাভা প্যাকেজ উন্মুক্ত উৎসের প্রোগ্রাম তৈরি করে।<div align="center">
<small>জাভা ১.০ প্রতিশ্রুতি দিয়েছে "একবার লিখুন, যেকোনো জায়গায় চালান</small>
</div>
==== অ্যাপাচি ====
পরবর্তীতে দশকের শেষের দিকে আমরা [https://httpd.apache.org/ অ্যাপাচি প্রকাশের মাধ্যমে আরও অগ্রগতি দেখতে পাই।] অগ্রগতি স্থবির হয়ে পড়ার পর NCSA HTTPd সার্ভারগুলোতে সম্প্রসারণের প্রয়াসে অ্যাপাচি-র উপর ভিত্তি তৈরি করা হয়েছিল অ্যাপাচি হলো একটি অবাধে উপলব্ধ ওয়েব সার্ভার। এটি একটি উন্মুক্ত উৎসের লাইসেন্সের অধীনে বিতরণ করা হয়।
==== নেটস্কেপ ====
১৯৯৮ সালে [http://isp.netscape.com/ নেটস্কেপ] তাদের ওয়েব ব্রাউজার উন্মুক্ত উৎসের করে দেয়। মজিলা হলোনেটস্কেপের তৈরি একটি মুক্ত সফটওয়্যার সম্প্রদায়। এটি উন্মুক্ত উৎসের হওয়ার ফলে ব্যবহারকারীরা পণ্যটি ব্যবহার, বিকাশ এবং প্রসারের সুযোগ পান। <ref>https://www.mozilla.org/en-GB/</ref> এরপর মজিলা [https://www.mozilla.org/en-GB/about/ মজিলা ফায়ারফক্স] তৈরি করে।এটি আজও একটি সুপরিচিত ওয়েব ব্রাউজার।
==== ল্যাম্প ====
LAMP এর বেশিরভাগ ধারণা নিম্নরূপ।
<u>(L) লিনাক্স -</u> অপারেটিং সিস্টেম যা পুরো প্রক্রিয়াটিকে সমর্থন করে।
<u>(A) অ্যাপাচি</u> - অ্যাপাচি হলো একটি ওয়েব সার্ভার। এটি আপনাকে আপনার প্রয়োজনীয় তথ্য অর্জনের জন্য সিস্টেমের সাথে কীভাবে যোগাযোগ করতে হবে তা বলে। এটি একটি গ্রাফিক্যাল ইউজার ইন্টারফেসের (GUI) অনুরূপ। এটি সার্ভারগুলোকে একে অপরের সাথে কীভাবে ইন্টারঅ্যাক্ট করতে হয় তাও বলে।
<u>MySQL</u> বা মাইএসকিউএল হলো ডাটাবেজ। এখানেই সমস্ত তথ্য সংরক্ষণ করা হয় এবং ব্যবহারকারীর কাছে উপস্থাপন করার জন্য পুনরুদ্ধার করা হয়।
<u>PHP</u> - পিএইচপি হলো ব্যবহারকারীর কাছে সিস্টেমের সামগ্রিক সরবরাহ/ যেমন একটি মনিটর, স্পিকার এবং VDU। এটি ব্যবহারকারীকে সামগ্রিক অভিজ্ঞতা প্রদান করে।
কম্পিউটার ব্যবহারের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সবকিছুই উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যারের মাধ্যমে করা হয়।
=== <u>২০০০-২০১০</u> ===
==== ওপেনঅফিস ====
২০০০-এর দশকেও উন্মুক্ত উৎসের ও মালিকানাধীন সফটওয়্যারের অগ্রগতি অসাধারণ ছিল। ২০০১ সালে ওপেনঅফিস প্রথম প্রকাশিত হয়। এটি পরবর্তীতে [https://www.openoffice.org/ অ্যাপাচি ওপেনঅফিস], [https://www.libreoffice.org/ লিব্রেঅফিস] এবং ওরাকল ওপেনঅফিসে (এটিই একমাত্র ক্লোজড সোর্স যা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল) শাখাভুক্ত হয়। ওপেনঅফিস ছিল একটি উন্মুক্ত উৎসের অফিস স্যুট প্রোগ্রাম। এটি মাইক্রোসফট অফিসের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে।
==== উবুন্টু ====
২০০৪ সালের মধ্যেই ডেবিয়ান-ভিত্তিক লিনাক্স ডিস্ট্রিবিউশন [http://www.ubuntu.com/ উবুন্টু] মুক্তি পায়। "উবুন্টু একটি উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যার প্ল্যাটফর্ম। এটি স্মার্টফোন, ট্যাবলেট এবং পিসি থেকে শুরু করে সার্ভার এবং ক্লাউড সর্বত্র চলে।" উবুন্টুর লোগো প্রতীকটি "বন্ধুদের বৃত্ত" প্রতিনিধিত্ব করে। এটি উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যারের সাথে সহযোগিতা প্রদর্শন করে। এটি একটি অত্যন্ত ঐতিহাসিক মুহূর্ত। কারণ এখন উবুন্টুর ২৪টিরও বেশি অফিসিয়াল রিলিজ থাকার পাশাপাশি অনেক অনানুষ্ঠানিক ভার্সনও রয়েছে।
==== গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ ====
এই আলোচনায় চারজন প্রভাবশালী কম্পিউটিং প্রতিভার কথা উল্লেখ করাও গুরুত্বপূর্ণ। তারা তাদের আবিষ্কারের মাধ্যমে বিশ্বকে মুগ্ধ করেছিলেন। ১৯৪৫ সালে স্নায়ুযুদ্ধের প্রাক্কালে <u>বুশ</u> মাইক্রো ফিল্ম ব্যবহার করে প্রথম কম্পিউটার চালু করেন। তিনি বিশ্বাস করতেন, সকলেরই বিশ্ব জ্ঞানে প্রবেশাধিকার থাকা উচিত। এটি ছিল একটি অত্যন্ত কাল্পনিক পদ্ধতি। বুশ আর্থিক মূল্যের জন্য এই ক্ষেত্রটি অনুসরণ করেননি। বরং তিনি বিশ্বাস করতেন,প্রত্যেকেরই তথ্যের প্রাপ্যযোগ্যতা থাকা উচিত। এনিগমায় তার কাজের জন্য কুখ্যাত <u>টুরিং</u> এমন একটি যন্ত্র তৈরি করেছিলেন যা যেকোনো কিছু গণনা করতে সক্ষম ছিল। তথ্য ইনপুট করার এবং দ্রুত ধারাবাহিকভাবে কম্পিউটিং কোডের মাধ্যমে যন্ত্রের বোধগম্য ভাষাতে রূপান্তর করার সুযোগ পাওয়া যায়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় টুরিং সরকারি কোড এবং সাইবার স্কুলে কাজ করেছিলেন। টুরিংকে একটি দল বরাদ্দ করা হয়েছিল যেখানে তিনি জার্মান নৌ ক্রিপ্ট বিশ্লেষণের দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন। <u>এঙ্গেলবার্ট</u> যুক্তরাজ্যের অন্ধকার প্রধান প্রতিরক্ষার জন্য কাজ করেছিলেন। তিনি দৈত্যদের কাঁধে দাঁড়ানোর উপর বিশ্বাস করতেন এবং বুশ এবং টুরিংয়ের তৈরি পূর্ববর্তী কাজগুলো ব্যবহার করতেন। রিনি অনেক দুর্দান্ত জিনিস অর্জনের জন্য এটিকে প্রসারিত করেছিলেন। সকল ডেমোর জননী ১৯৬৯। তবে অন্য তিনজনের তুলনায় <u>নেলসন</u> ছিলেন খুবই রহস্যময়। নেলসন হাইপারটেক্সট, HTTP এবং মূলত ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব (www) তৈরিতে সহায়তা করেছিলেন। তিনি জানাডু নামে পরিচিত একটি প্রোগ্রামও তৈরি করেছিলেন। ধারণা করা হয়েছিল এটি ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবের চেয়ে বেশি দক্ষ হবে। তবে আগের তিনজনের বিপরীতে নেলসন ধারণাটি পেটেন্ট করতে এবং ফ্র্যাঞ্চাইজির মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে চেয়েছিলেন। দুর্ভাগ্যবশত নেলসনের ক্ষেত্রে এটি কাজ করেনি। শীঘ্রই ধারণাটি ব্যর্থ হয়ে যায়। এই সংক্ষিপ্ত ইতিহাস জুড়ে একটি মূল বিষয়বস্তু হলো সামরিক বাহিনীর সাথে সম্পর্ক এবং যোগাযোগ। যদি সামরিক বাহিনী এবং সম্ভবত বিশ্বযুদ্ধ না থাকত, তাহলে আমরা আজ উন্নয়নের ডিজিটাল জগতে যেখানে আছি সেখানে হয়তো থাকতাম না। এমনকি আইপি ইন্টারনেট প্রোটোকলও সামরিক বাহিনী থেকেই এসেছে/ তবে একটি বিষয় নিশ্চিত, আসলে ডিজিটাল প্রযুক্তি খুবই রাজনৈতিক।
== হ্যাকার নীতি ==
=== হ্যাকারের বিবর্তন: অতীত ও বর্তমান ===
"হ্যাকার" শব্দটির সাধারণ অর্থ বিভিন্ন প্রজন্মের কাছে ভিন্ন ভিন্ন। লেভি (১৯৬৮) বলেছেন, কম্পিউটার বিজ্ঞান জগতের লোকেরা "এই শব্দটিকে উপহাসের একটি রূপ হিসেবে ব্যবহার করত। এর অর্থ হ্যাকাররা হয় অলস সামাজিকভাবে বহিষ্কৃত অথবা "অপেশাদার" প্রোগ্রামার, যারা নোংরা "অমানবিক" কম্পিউটার কোড লিখেছিল"।<ref>Levy, Steven. 1986 ''Hackers: - Heroes of the Computer Revolution''</ref> লেভি হ্যাকার কী তা বর্ণনা করেছেন। তার তুলনায় ডগলাস (২০০২) হ্যাকারদের বর্ণনা করেছেন "একটি সংস্কৃতি হিসেবে, কম্পিউটার উৎসাহীদের একটি দল যারা এমন একটি জায়গা এবং পদ্ধতিতে কাজ করে যা সঠিকভাবে কীভাবে কাজ করে তা জানার জন্য সীমাহীন কৌতূহলের অনুভূতি দ্বারা সংজ্ঞায়িত করা যেতে পারে। তবে এই জ্ঞানকে আরও বিস্তৃত সাংস্কৃতিক ধারণা দ্বারা সংজ্ঞায়িত করা হয়"। <ref>Levy, Steven. 1986 ''Hackers: - Heroes of the Computer Revolution''</ref> আবার দুটি ভিন্ন প্রজন্ম হ্যাকার কী তা বিশ্বাস করে তার দুটি ভিন্ন সংজ্ঞা দেয়। হ্যাকিংয়ের এই ইতিহাসটি একটি জটিল কিন্তু আকর্ষণীয় ক্ষেত্র। কারণ একবিংশ শতাব্দীতে আমরা হ্যাকিংকে একটি অপরাধ হিসেবে জানি। কিন্তু আজকের বিশ্বে অগ্রগতির জন্যেই এটি ব্যবহার করা হয়েছিল। আবার লেভি (২০১৬) উদ্ধৃত করেছেন, "এটি ছিল ভাগাভাগি, উন্মুক্ততা, [[বিকেন্দ্রীকরণ]] এবং যেকোনো মূল্যে মেশিনের উন্নতি এবং বিশ্বকে উন্নত করার জন্য মেশিন হাতে পাওয়ার একটি দর্শন"। এই দর্শন বা নীতিশাস্ত্র তাদের সংস্কৃতির জন্য উপহার ছিল; এমন কিছু যা আমাদের মধ্যে যাদের কম্পিউটারে মোটেও আগ্রহ নেই তাদের জন্যও মূল্যবান। হ্যাকিংয়ের বিবর্তন দেখতে পাওয়া যায় যদি কেউ হ্যাকিংয়ের এই গতিবিধিটি অধ্যয়ন করে যা বর্তমানে "অজ্ঞাত" নামে পরিচিত। কারণ এই আন্দোলনটি শুরু হয়েছিল সহজ ট্রোলিং, অপ্রীতিকর উপাদান ভাগ করে নেওয়া এবং [[ফোরচান|4chan]] ওয়েবসাইটে "মিমস" এর মতো অদ্ভুত নতুন ইন্টারনেট অভিব্যক্তি তৈরির মাধ্যমে। হ্যাকাররা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির এই পটভূমি থেকে এসেছে এবং এটিকে "হ্যাকটিভিজম"-এ রূপান্তরিত করেছে। এটি কোনও উদ্দেশ্যকে সমর্থন, অসম্মান বা ব্যাহত করার সরাসরি উদ্দেশ্য নিয়ে হ্যাকিং। এই "অজ্ঞাত" ভাবে তৈরি করেছে। এগুলো হ্যাকিং বিবর্তনের একটি সহজ ফসল এবং অনেকেই ইতিবাচক হিসেবে দেখবেন এমন কাজ করেছে। যেমন [[কু ক্লাক্স ক্লান|কু ক্লাক্স ক্ল্যানের]] সদস্যদের উন্মোচন করা।
=== সৃজনশীল বনাম অপরাধী ===
কম্পিউটারের প্রাথমিক যুগের সাথে সাথে উন্নতির জন্য সর্বদাই জায়গা ছিল। প্রতি বছর বিভিন্ন হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যার দিয়ে কম্পিউটার আপগ্রেড করা হচ্ছে। এক অর্থে হ্যাকাররা সবসময়ই বোঝাপড়ার জন্য চেষ্টা করত। কিন্তু এগিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে তারা সফটওয়্যারও আপগ্রেড করছিল। অ্যালবার্টস এবং ওল্ডেনজিয়েল (২০১৪) এর বর্ণনা অনুযায়ী হ্যাকার ছিলেন একজন ব্যক্তি "যিনি ইচ্ছাকৃতভাবে বাইরের ব্যক্তির ভূমিকা বেছে নেন, জটিলতাগুলো আয়ত্ত করতে হয়, তালা ভাঙতে হয় এবং বহিষ্কারকে অনুপ্রবেশের মাধ্যমে মোকাবেলা করতে হয়"। তারা আরও ব্যাখ্যা করে, হ্যাকাররা "কোনও ক্ষতি না করার জন্য" অনুপ্রবেশের একটি ছাপ রেখে যেতে চেয়েছিল। বিশ্বজুড়ে হ্যাকার সংস্কৃতিকে ভিন্নভাবে দেখা হয়। অনেক দেশ এই সংস্কৃতিকে বিভিন্ন রূপে ব্যবহার করে। উদাহরণস্বরূপ, যুগোস্লাভ কিশোর-কিশোরী এবং ছাত্ররা পার্টি ও সঙ্গীতের উপসংস্কৃতির অংশ হিসেবে কম্পিউটার "ঝাঁকুনি" দিত। অন্যদিকে ফিনিশ গণতন্ত্রগুলো এটিকে "উদীয়মান প্রোগ্রামারদের তাদের কাজ দেখানোর জন্য" "অনুষ্ঠানের আচার" হিসেবে ব্যবহার করত। অন্যদিকে [[Wau holland|"ওয়াউ হল্যান্ড"]] নামে একজন জার্মান হ্যাকারের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক কার্যকলাপের অভিযোগ আনা হয়েছিল। এর মাধ্যমে তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে একটি ব্যাংকের নিরাপত্তা ত্রুটিগুলো দেখানোর জন্য হ্যাক করেছিলেন। তারা যে সিস্টেমটি হ্যাক করছিল তা ছিল একটি নতুন সিস্টেম যা ব্যাংকটি একটি ইন্টারেক্টিভ টেলিটেক্সট সিস্টেম ( [[Btx (form factor)|Btx]] ) স্থাপন করেছিল। এর প্রধান নিরাপত্তা ত্রুটি ছিল। হ্যাকাররা পাসওয়ার্ডগুলো হেরফের করতে এবং ট্র্যাক করতে সক্ষম হয়েছিল। এই কাজ করে হল্যান্ড এবং তার সহযোগী এক রাতে তাদের অ্যাকাউন্টে €১৩৫,০০০ ট্রান্সফার করতে সক্ষম হন। তাদের ব্যাংক হ্যাক করার চার বছর পর ওয়ার্নারিকে আরও কম্পিউটার অপরাধের জন্য ফ্রান্সে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। ১৯৮৬/৮৭ সালে [[নাসা|নাসার]] মতো সরকারি কর্তৃপক্ষ এবং গবেষণা সংস্থাগুলোর ব্যবহৃত VAX কম্পিউটারগুলোতে একটি বাগ আবিষ্কার করে হ্যাকাররা এই কম্পিউটারগুলোতে প্রাপ্যতা পেতে সক্ষম হয়। এরপর তার বিরুদ্ধে ১০০টি কম্পিউটার থেকে ডেটা প্রাপ্যতা, কপি এবং ধ্বংস করার অভিযোগ আনা হয়। হ্যাকিং জগতের অপরাধমূলক দিকের আরেকটি উদাহরণ হতে পারে ১৯৯০ সালের AT&amp;T-এর দূরপাল্লার টেলিফোন সুইচিং সিস্টেমটি ক্র্যাশ করার ঘটনা। স্টার্লিং (১৯৯৪) ব্যাখ্যা করেছেন, এই দুর্ঘটনার সময় ৬০,০০০ মানুষ নয় ঘন্টার জন্য টেলিফোন পরিষেবা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল। এটি শুরু হয়েছিল কারণ ম্যানহাটনের একটি সুইচিং-স্টেশন AT&T-এর নিজস্ব সিস্টেমে পাওয়া একটি বাগের কারণে ক্র্যাশ হয়ে গিয়েছিল।
=== কম্পিউটার/হ্যাকিং নীতিশাস্ত্রের গঠন ===
হ্যাকিংয়ের ক্ষেত্রে আমরা জানি যে মানুষ বিভিন্ন কারণে এটি করে। ভালো হোক বা খারাপ, তুলনা করার মতো কোনও মধ্যম ক্ষেত্র নেই। টেলর (১৯৯৯:১৩৬) যা বর্ণনা করেছেন যে "হ্যাকিংয়ের নৈতিক জটিলতার মুখোমুখি হলে, তারা এবং আমাদের পরিস্থিতির মেরুকৃত অবস্থানের মধ্যে থাকা নৈতিক নিশ্চিততাগুলো গ্রহণ করার প্রলোভন দেখা দেয়"। গত দশকে প্রযুক্তির অগ্রগতির সাথে সাথে, এটি হ্যাকিং প্রজন্মকে তাদের নিজস্ব জ্ঞান, নতুন হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যার উন্নত করার জন্য বিভিন্ন খেলার মাঠ উপহার দিয়েছে। হ্যাকিং সম্ভব করার অন্যতম প্রধান কারণ হলো গোপনীয়তার সমসাময়িক সংস্কৃতি যা সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং অর্থনৈতিক মিথস্ক্রিয়ার একটি বৃহৎ অংশকে নিয়ন্ত্রণ করে। গোপনীয়তার কারণে হ্যাকাররা বিচ্ছিন্ন বোধ করে। কিন্তু সুবিধাও পায়। আমরা জানি হ্যাকাররা গোপনীয়তার বিরোধিতা করে, তারা নিজেদের বিরোধিতা করে, তারা যে পদ্ধতি বা পদ্ধতিটি পরিচালনা করে তা কাজে লাগিয়ে, প্রযুক্তি এবং সমসাময়িক সংস্কৃতির সাথে তাদের অবস্থানকে জটিল করে তোলে। ডগলাস (২০০২:১১৫) ব্যাখ্যা করেন যে হ্যাকিংয়ের প্রাথমিক প্রজন্মে, ধারণা, তথ্য ভাগাভাগি করার পাশাপাশি প্রযুক্তি প্রাপ্যতাের জন্য সম্প্রদায়গুলোর উপর প্রচুর নির্ভর করা হত। ১৯৫০/৬০ এর দশকে, সম্প্রদায়গুলো এমআইটি, হার্ভার্ড, কর্নেল এবং আরও কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবগুলোকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছিল। <ref>Douglas, Thomas 2002 ''Hacking Culture''</ref>
টেলর আরও বলেন,"হ্যাকাররা এমন বাচ্চাদের মতো যারা রেললাইনে দশ পেন্সের টুকরো রেখে দেখে যে এটি বাঁকছে কিনা। কিন্তু তারা বুঝতে পারে না যে তারা পুরো ট্রেনটি রেলিং থেকে নামিয়ে দেওয়ার ঝুঁকি নিচ্ছে"। হ্যাকারদের কীভাবে উপস্থাপন করা হয় তা দেখার একটি ভালো উপায় হলো "মিস্টার রোবট"। এটি এমন একটি প্রোগ্রাম যেখানে একদল হ্যাকার একটি বহুজাতিক কর্পোরেশনকে আক্রমণ করে বিশ্বকে ঋণমুক্ত করতে বদ্ধপরিকর। টেলর (১৯৯৯) উল্লেখ করেছেন,ব্যবসায়িক নীতিশাস্ত্রের একটি গবেষণার সময়, এমন কিছু বিষয় উঠে এসেছে যা দেখায় যে শিল্পের মধ্যে নীতিগত সিদ্ধান্তগুলো আরও কঠিন এবং বয়স্ক জনগোষ্ঠীর কাছ থেকে আসার প্রবণতা রয়েছে। কম্পিউটার শিল্পের সদস্যরা সাধারণত সাধারণ হ্যাকারদের তুলনায় বয়স্ক হন এবং কম্পিউটারকে তাদের দৈনন্দিন জীবনের একটি হাতিয়ার হিসেবে দেখেন, অন্যদিকে হ্যাকাররা কম্পিউটারকে একটি শখ হিসেবে দেখেন। এই বয়সের পার্থক্য সম্ভবত একটি কারণ যার জন্য নিরাপত্তা শিল্প এবং গোপন কম্পিউটারের সদস্যদের নীতিগত দৃষ্টিভঙ্গিতে মৌলিক পার্থক্য রয়েছে।
==== 'অলিখিত আইন' ====
অনেক কম্পিউটার ভক্ত এমন একটি কাঠামো অনুসরণ করেন যাকে অনেকে হ্যাকারদের বাইবেল বলে। এটি এমন কিছু অলিখিত নিয়মে। তারা বিশ্বাস করে এভাবেই সফটওয়্যার লেখা এবং সরবরাহ করা উচিত। তারা সেই অনুযায়ী আরও উন্মুক্ত এবং উদার কিছু পরিবর্তন করতে চায়। এটি মূলত সফটওয়্যারের সহজলভ্যতা এবং এটি ব্যবহার করতে ইচ্ছুক সকলের কাছে এর সহজলভ্যতার সাথে সম্পর্কিত। সকল তথ্য বিনামূল্যে থাকা উচিত। কর্তৃপক্ষের উপর অবিশ্বাস করুন, বিকেন্দ্রীকরণকে উৎসাহিত করুন। দ্বিতীয়ত এই ধারণাটি উপস্থাপন করে যে, বিশ্বজুড়ে বা এমনকি বিভিন্ন দেশে একাধিক সার্ভার থাকা উচিত। সেগুলোতে একই তথ্য জমা থাকবে, যাতে অন্য কোনও সফটওয়্যার এবং/অথবা প্রোগ্রাম ব্যর্থ হলে আপনি সর্বদা প্রাপ্যতা পেতে পারেন। একাধিক সার্ভার থাকার ফলে বৃহত্তর শ্রোতা তৈরি হবে। এর ফলে প্রোগ্রামগুলোতে সবার প্রাপ্যতা থাকার পাশাপাশি কর্মক্ষমতাও উন্নত মানের হবে। হ্যাকারদের বিচার করা উচিত তাদের হ্যাকিং দিয়ে; কোনো ডিগ্রি, বয়স, জাতি বা পদের মতো ভুয়া মানদণ্ড দিয়ে নয়। আমি বিশ্বাস করি এটি বিশেষ করে আধুনিক যুগ এবং সমাজের সাথে গভীরভাবে সম্পর্কিত যেখানে জীবনের সকল ক্ষেত্রেই সমতার জন্য লড়াই অব্যাহত রয়েছে। বিশেষ করে আজকের ডিজিটাল জগতে এমন অনেক তরুণ আছেন যারা অসাধারণ কোডিং তৈরি করতে সক্ষম যা একটি IOS সিস্টেমের মধ্যে একত্রিত করা যেতে পারে। এগুলো বিভিন্ন মাল্টি মিডিয়ামে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে পারে। আপনি কম্পিউটারে শিল্প ও সৌন্দর্য তৈরি করতে পারেন। এটি কম্পিউটিং জগতের সকল মাত্রার জন্য দায়ী, তা ডিজিটাল শিল্প, প্রোগ্রামিং, চলচ্চিত্র নির্মাণ হোক... তালিকাটি অন্তহীন। বলা বাহুল্য, সবই শিল্পের উপাদান। এগুলোকে হালকাভাবে নেওয়া উচিত নয়। কম্পিউটার জীবনকে আরও ভালোর দিকে বদলে দেয়। প্রযুক্তি ক্রমাগত বিকশিত হচ্ছে এবং উন্নতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা এখন বধির এবং অন্ধদের জন্য এমন ব্যবস্থা তৈরি করতে সক্ষম হয়েছি যা মিথস্ক্রিয়া এবং যোগাযোগের পাশাপাশি আরও অনেক কিছুতে সহায়তা করে যা অসংখ্য ব্যক্তি এবং পরিবারকে সহায়তা করে।
== ক্রিয়েটিভ কমন্স বনাম কপিরাইট ==
=== ক্রিয়েটিভ কমন্স কী? ===
২০০১ সালে লরেন্স লেসিগ, হাল অ্যাবেলসন এবং এরিক ইল্ড্রেড অলাভজনক সংস্থা '''ক্রিয়েটিভ কমন্স (CC)''' প্রতিষ্ঠা করেন। এটি অন্যদের জন্য উপলব্ধ সৃজনশীল কাজ বাড়ানোর জন্য চেষ্টা করছে। এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা আইনগতভাবে ভিত্তি করে তৈরি করতে এবং অন্যদের সাথে ভাগ করতে পারেন। ক্রিয়েটিভ কমন্স লাইসেন্সগুলি জনসাধারণের জন্য বিনামূল্যে প্রকাশিত হয়। ক্রিয়েটিভ কমন্স সম্পর্কিত প্রথম নিবন্ধটি একটি সাধারণ আগ্রহের প্রকাশনায় হাল প্লপকিনের “All Hail Creative Commons Stanford professor and author Lawrence Lessig plans a legal insurrection” (২০০২)-এ প্রকাশিত হয়। ২০০৪ সালের নভেম্বর পর্যন্ত প্রায় ৮৮০ মিলিয়ন কাজ ক্রিয়েটিভ কমন্স লাইসেন্সের আওতায় লাইসেন্সপ্রাপ্ত।<ref>[https://creativecommons.org/licenses] , About the Licenses – Creative Commons.</ref>
'''ক্রিয়েটিভ কমন্সের বিভিন্ন দিক'''
ক্রিয়েটিভ কমন্সের অনেক ধরণের আছে, যেগুলো আপনাকে বিভিন্ন উপায়ে একটি কাজ ব্যবহার করার সুযোগ দেয়। এটি ব্যক্তির লাইসেন্সের উপর নির্ভর করে। কারণ প্রতিটি কাজের সাথে আপনি কী করতে পারবেন এবং কী করতে পারবেন না তার নিয়ম রয়েছে। নিচে কয়েকটি তালিকাভুক্ত উদাহরণ দেওয়া হলো। মূলত স্কেল শর্তাবলী প্রদান করে, আপনি বিভিন্ন উপায়ে কিছু পুনঃব্যবহার করতে পারেন, সাধারণত এটি শর্তাবলীতে বর্ণিত থাকে। এটি ছোট মুদ্রণ নামেও পরিচিত।
'''পাবলিক ডোমেইন'''
পাবলিক ডোমেইন শব্দটি এমন সৃজনশীল উপকরণগুলোকে বোঝাতে ব্যবহৃত হয় যা সম্পত্তি আইন, কপিরাইট, ট্রেডমার্ক বা পেটেন্ট আইন দ্বারা সুরক্ষিত নয়। এই কাজগুলোর মালিক 'জনসাধারণ', কোনও একক ব্যক্তি নন। পাবলিক ডোমেইন উপকরণ ব্যবহারের জন্য অনুমতির প্রয়োজন নেই কারণ কেউ কখনও উপকরণের অধিকার দাবি করতে পারে না। <ref>[http://fairuse.stanford.edu/overview/public-domain/welcome/] , Copyright & Fair Use – Stanford University Libraries.</ref>
চারটি সাধারণ সম্ভাবনা রয়েছে যা উপকরণ বা পণ্যগুলোকে পাবলিক ডোমেইন করতে পারে: <ref>[http://fairuse.stanford.edu/overview/public-domain/welcome/] , Copyright & Fair Use – Stanford University Libraries (Extended).</ref>
* কপিরাইট মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে।
* কপিরাইট মালিক কপিরাইট নবায়ন নিয়মের পদ্ধতি সঠিকভাবে অনুসরণ করেননি।
* কপিরাইট মালিক ইচ্ছাকৃতভাবে একটি উপাদান বা পণ্য পাবলিক ডোমেইনে রাখেন।
* কপিরাইট আইন এই বিশেষ ধরণের উপাদানকে রক্ষা করতে পারে না।
কপিরাইট জনসাধারণের জন্য, যাতে তারা সফটওয়্যারটি ব্যবহার করতে পারে, কাজের অংশ... ইত্যাদি, যেমনটা তারা চায়। এর অর্থ হলো তারা এটি সম্পাদনা করতে এবং তাদের ইচ্ছামতো পুনরায় ব্যবহার করতে সক্ষম। এর একটি গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ হলো ওয়াল্ট ডিজনির মিকি মাউসের সৃষ্টি। মিকি মাউসের গ্রাফিক্স এবং ধারণাটি পাবলিক ডোমেইনে রয়েছে, অর্থাৎ বিবিসির মতো অন্যান্য সংস্থাগুলো যদি ইচ্ছা করে তবে এই ধারণাটি একটি স্কেচে ব্যবহার করতে পারে। এর মানে হলো, যদিও আমরা মিকি মাউসকে একটি কার্টুন শিশু ক্লাসিক হিসেবে যুক্ত করেছি, আমরা তাকে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের একটি স্কেচে দেখতে পাচ্ছি।
=== By ===
"By" আপনাকে একটি কাজকে আপনি যেভাবে চান তেমন করে রিমিক্স, সম্পাদনা এবং বিতরণ করার অনুমতি দেয়। তবে, আপনাকে বিবেচনা করতে হবে কাজটি কোথা থেকে এসেছে এবং মূল সৃষ্টিকারীর গুরুত্বকে স্বীকৃতি দিতে হবে।
'''অ্যাট্রিবিউশন'''
CC BY Attribution অন্যদের এমন কাজ বিতরণ, সম্পাদনা এবং যোগ করার সুযোগ দেয় যা ইতিমধ্যেই তৈরি করা হয়েছে, যতক্ষণ না তারা মূল লেখককে কৃতিত্ব দেয়। মূলত এটি সবচেয়ে সুবিধাজনক লাইসেন্স। এটি আপনাকে আপনার প্রয়োজন অনুসারে নিবন্ধটি তৈরি করতে সক্ষম করে।
'''অ্যাট্রিবিউশন-শেয়ারঅ্যালাইক'''
CC BY-SA এই লাইসেন্সটি আপনাকে অ্যাট্রিবিউশন লাইসেন্সিংয়ের মতোই কাজ করার সুযোগ দেয়, তবে এটি কেবলমাত্র বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে সম্পন্ন করা হয় এবং তারা তাদের নতুন সৃষ্টিগুলোকে একই শর্তে ক্রেডিট এবং লাইসেন্স দেয়। অ্যাট্রিবিউশন- শেয়ারঅ্যালাইককে প্রায়ই 'কপিলেফট' ফ্রি এবং ওপেন সফটওয়্যার লাইসেন্স বলা হয়। উইকিপিডিয়া এই ধরণের লাইসেন্স ব্যবহার করে।
'''অ্যাট্রিবিউশন-নোডেরিভস'''
CC BY-ND এই লাইসেন্সটি বাণিজ্যিক এবং অ-বাণিজ্যিক উভয় ক্ষেত্রেই পুনর্বণ্টনের সুযোগ দেয়, যতক্ষণ না এটি অপরিবর্তিত এবং সম্পূর্ণরূপে আপনার কৃতিত্বের সাথে পাস করা হয়।
'''অ্যাট্রিবিউশন-অ-বাণিজ্যিক'''
CC BY-NC অ্যাট্রিবিউশন-শেয়ারঅ্যালাইকের অনুরূপ, এই লাইসেন্সটি আপনাকে কাজ যোগ করতে, পরিবর্তন করতে এবং নির্মাণ করতে সক্ষম করে, তবে তা বাণিজ্যিক নয় এমন পরিবেশেও। নতুন সৃষ্টিকর্মকে আপনার পরিবর্তন এবং অ-বাণিজ্যিক উপাদান স্বীকার করতে হবে, তবে এটি একই লাইসেন্সের অধীনে হতে হবে না।
'''অ্যাট্রিবিউশন-ননকমার্শিয়াল-শেয়ারঅ্যালাইক'''
CC BY-NC-SA অ্যাট্রিবিউশন-ননকমার্শিয়ালের মতো মূল পার্থক্য হলো যে আপনাকে একই শর্তে নতুন কাজের লাইসেন্স দিতে হবে।
'''অ্যাট্রিবিউশন-ননকমার্শিয়াল-নোডেরিভস'''
CC BY-NC-ND এই লাইসেন্সটি সবচেয়ে সীমাবদ্ধ, শুধুমাত্র অন্যদের আপনার কাজ ডাউনলোড করতে এবং অন্যদের সাথে শেয়ার করতে দেয় যতক্ষণ না তারা মূল লেখককে কৃতিত্ব দেয়।
'''প্রভাব'''
ব্রাউসার্ড ক্রিয়েটিভ কমন্সকে কপিলেফট আন্দোলনের অগ্রভাগে বলে বর্ণনা করেছেন। এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে "সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত" কপিরাইটের একটি বিকল্প প্রদান করার চেষ্টা করছে (২০০৭)। বিকল্পভাবে, ডেভিড বেরি ক্রিয়েটিভ কমন্সকে বুদ্ধিজীবী সম্পত্তির বিষয়টিতে আগ্রহ তৈরি করার জন্য এবং "তথ্য যুগে" "কমন্স" এর ভূমিকা পুনর্বিবেচনা করার জন্য কৃতিত্ব দেন, তিনি বলেন "ক্রিয়েটিভ কমন্সে এমন প্রতিষ্ঠানিক, ব্যবহারিক এবং আইনগত সহায়তা রয়েছে যা افراد এবং গোষ্ঠীগুলোকে সংস্কৃতি নিয়ে আরও স্বাধীনভাবে পরীক্ষাগুলো এবং যোগাযোগ করতে চায়।" (বেরি, ডি, ২০০৫)। লেস্টিগ, অন্যদিকে আধুনিক সংস্কৃতিকে ঐতিহ্যবাহী কনটেন্ট বিতরণকারীদের দ্বারা আধিপত্যে ছিল বলে বর্ণনা করেছেন, সাংস্কৃতিক পণ্য যেমন সঙ্গীত এবং সিনেমার উপর মনোপলি বজায় রাখতে বা বৃহত্তর করতে, তিনি বলেছেন "ক্রিয়েটিভ কমন্স এই বিধিনিষেধগুলোর বিকল্প দিতে পারে" (লেস্টিগ, ২০০৬)।
== উন্মুক্ত উৎসের ও মালিকানাধীন সফটওয়্যারের উদাহরণ ==
=== ইউনিক্স এবং গ্নু ===
[http://www.unix.org/ ইউনিক্স] ১৯৬৯ সালে বেল ল্যাবসে তৈরি করা হয়েছিল এবং এটি কম্পিউটিং ইতিহাসের প্রাচীনতম অপারেটিং সিস্টেমগুলোর মধ্যে একটি। এটিই সেই ভিত্তি যার উপর Mac OS X নির্মিত। এটি অনেকগুলো ভিন্ন মেশিনে চালানো যেতে পারে, এবং ইউনিক্স কম্পিউটারগুলো নেটওয়ার্কগুলোতে একসাথে কাজ করতে পারে। ইউনিক্স ছিল একটি মালিকানাধীন সিস্টেম কারণ বেল ল্যাবস কপিরাইট সুরক্ষিত রেখেছিল যাতে এটি একটি বন্ধ সিস্টেম ছিল যা ভাগ করা যেত না। একটি সিস্টেমে কাজ করার জন্য ইউনিক্স কোডটি সোর্স কোড বই থেকে ম্যানুয়ালি প্রবেশ করতে হত। এটি আজ আমাদের কাছে অত্যন্ত অদক্ষ বলে মনে হয়।
উন্মুক্ত উৎসের নেটওয়ার্কের উন্নয়নে রিচার্ড স্টলম্যান ছিলেন মৌলিক ভূমিকা পালনকারী। তিনি ইউনিক্সকে আরও ভাগ করে নেওয়ার যোগ্য উন্মুক্ত সিস্টেমে রূপান্তর করতে চেয়েছিলেন। ১৯৮৪ সালে তিনি [http://www.fsf.org/ ফ্রি সফটওয়্যার ফাউন্ডেশন] (এফএসএফ) তৈরি করেন। এফএসএফ-এর মূল লক্ষ্য ছিল সফটওয়্যারকে আরও উন্মুক্ত এবং প্রাপ্যতাযোগ্য করে তোলা, ঠিক যেমন প্রাথমিক কম্পিউটিং বুদ্ধিমত্তা এবং বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার ভাগ করে নেওয়ার উপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। স্টলম্যান গ্নু ("গ্নু is not ইউনিক্স") আবিষ্কার করেন ইউনিক্সকে নতুনভাবে পুনর্নির্মাণ করে যাতে এটি উন্মুক্ত এবং ভাগ করে নেওয়া যায়, যাতে ব্যবহারকারীরা তাদের ইচ্ছামত কোডটি মানিয়ে নিতে এবং পরিবর্তন করতে পারে। গ্নু যে কোনও সিস্টেমে চলতে সক্ষম ছিল যা ইতিমধ্যেই ইউনিক্স সমর্থন করে। স্টলম্যান গ্নু-কে একটি নতুন সিস্টেমের অধীনে লাইসেন্স দিয়েছিলেন যার নাম জেনারেল পাবলিক লাইসেন্স (জিপিএল। এটি "কপিলেফট" নামেও পরিচিত) যাতে গ্নু-কে মালিকানাধীন সফটওয়্যারে পরিণত হতে না পারে।
=== লিনাক্সের সাফল্য ===
লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেম একটি উন্মুক্ত উৎসের প্রকল্পের একটি গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ যা ক্রমশ শক্তিশালী হচ্ছে। এই প্রকল্পের সহযোগিতার সম্ভাবনাগুলো নিজেই নেটওয়ার্কের শক্তির প্রতিনিধিত্ব করে। কারণ এর প্রাথমিক পর্যায়ে যখন খুব কম অবদানকারী অংশগ্রহণ করছিলেন তখনও তাদের সারা বিশ্বে পাওয়া যেত। এই ব্যবস্থার সাফল্যের পেছনে অনেকগুলো কারণ রয়েছে, যেমন সম্পত্তির অধিকারের প্রতি বিশেষ দৃষ্টিভঙ্গি যা এর লাইসেন্স গঠন করে। লিনাক্সের [[গ্নু জেনারেল পাবলিক লাইসেন্স|জেনারেল পাবলিক লাইসেন্স]] (জিপিএল) সিস্টেমের ক্রমাগত উন্নয়নকে এর উপর ভিত্তি করে তৈরি হিসেবে স্বীকৃতি দেয়, তবে এটি পুনর্বণ্টনের সময় এর উপর কোনও বিধিনিষেধ আরোপের সুযোগ দেয় না। এটি বার্কলে সফটওয়্যার ডিস্ট্রিবিউশন (বিএসডি) লাইসেন্সের একটি বিকল্প। এটি প্রোগ্রামারদের সিস্টেম উন্নত করার জন্য একই স্বাধীনতা প্রদান করে না।
লিনাক্সের সাফল্যের আরেকটি কারণ হলো প্রকল্পের জন্য অব্যাহত, ঐক্যবদ্ধ সমর্থন। এটি প্রকল্প নেতাদের দ্বারা গৃহীত সিদ্ধান্ত এবং নিয়ম প্রত্যাখ্যান করার ঝুঁকি সম্পর্কে বোঝার কারণে। যারা প্রস্তাবিত কোড পরিবর্তন গ্রহণ করতে ব্যর্থ হন, তাদের জন্য প্রাথমিক প্রকল্প থেকে আলাদা হয়ে তাদের পরিবর্তনগুলো বাস্তবায়িত করে একটি নতুন প্রকল্প স্থাপন করার সুযোগ রয়েছে, যাকে "ফর্কিং" বলা হয়। <ref>Weber, S. (2004). ''Success of Open Source.'' Cambridge: Harvard University Press, p.64</ref> যদিও কিছু ডেভেলপার এটিকে উন্মুক্ত উৎসের প্রোগ্রামিংয়ের একটি অপরিহার্য অধিকার হিসেবে দেখেন, তবুও এই প্রক্রিয়ায় ঝুঁকি রয়েছে। লিনাক্সের ক্ষেত্রে, প্রলিফিক ফর্কিং কর্মীদের বিভক্ত করার এবং সামগ্রিক উৎপাদনশীলতা হ্রাস করার ঝুঁকি বহন করে। অধিকন্তু, আরও প্রকল্পের সাথে সাথে একটি প্রকল্পে উল্লেখযোগ্য সমস্যা দেখা দেওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। এটি প্রতিটি প্রকল্পের উপর খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে, ফর্কিংয়ের মাধ্যমে উদ্ভূত প্রকল্প থেকে শুরু করে প্রাথমিক প্রকল্প পর্যন্ত। <ref>Weber, S. (2004). ''Success of Open Source.'' Cambridge: Harvard University Press, p.159</ref> দক্ষতা এবং উৎপাদনশীলতার এই ভাঙ্গনের ফলে বেশ কয়েকটি প্রকল্প, সম্ভবত সবগুলোই ব্যর্থ হতে পারে। লিনাক্সের দীর্ঘ জীবনকাল এবং অব্যাহত, দীর্ঘমেয়াদী সহযোগিতার সম্ভাবনা উপরে উল্লিখিত ঝুঁকিগুলোর জন্য ঝুঁকি নেওয়ার প্রবণতাকে নিরুৎসাহিত করে, তাই এটি এখনও পর্যন্ত এটির অভিজ্ঞতা লাভ করেনি। <ref>Weber, S. (2004). ''Success of Open Source.'' Cambridge: Harvard University Press, p.159</ref>
উন্মুক্ত উৎসের ফরম্যাটের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সুবিধা থেকে লিনাক্সও উপকৃত হয়। ঐতিহ্যবাহী মালিকানাধীন ব্যবস্থায়, প্রত্যেকের কাছ থেকে প্রায় সমান পরিমাণে কাজের অবদান আশা করা হয়। তবে ওপেন সোর্সে, অবদানকারীদের একটি ছোট শতাংশের জন্য কাজের একটি বড় অংশ সম্পাদন করা সাধারণ, এবং বিপুল সংখ্যক অপ্রাপ্তবয়স্ক অবদানকারীদের জন্য কেবল এক বা দুটি অবদান রাখা স্বাভাবিক। তবুও, জর্ডান যুক্তি দেন যে একটি উন্মুক্ত উৎসের প্রকল্পের প্রেক্ষাপটে, একজন ব্যক্তি এমন একটি কাজ সম্পন্ন করতে পারেন যা অন্যথায় সম্পন্ন নাও হতে পারে। যদি একজন ব্যক্তি মাত্র একটি অবদানের মাধ্যমেও গ্রুপ প্রকল্পের উন্নতি করেন, তাহলে সকলেই আরও ভালো পণ্য পেয়ে উপকৃত হবেন।
পরিসংখ্যান থেকে জানা যায় যে ইন্টারনেটের ৩৬.২% ওয়েবসাইট লিনাক্স ব্যবহার করে। এরিকের মতে, লিনাক্স একটি বিকেন্দ্রীভূত উন্নয়ন পদ্ধতি [http://www.fao.org/docs/up/easypol/342/decen_dev_in_agri_012en.pdf] গ্রহণ করেছে। "ক্যাথেড্রাল অ্যান্ড দ্য বাজার" এবং অনুরূপ কাজে এস রেমন্ডের পরীক্ষা। এই পদ্ধতির ফলে অবদানকারীরা একটি সংবেদনশীলহীন সাংগঠনিক কাঠামোর মধ্যে ক্রমাগত কাজ করতে সক্ষম হন। লিনাক্সের অপারেটিং সিস্টেমের বৈশিষ্ট্যগুলোও এর সাফল্য বিশ্লেষণ করার সময় বিবেচনা করার মতো আরেকটি সম্ভাব্য কারণ। লিনাক্স এবং ইউনিক্সের মতো অন্যান্য অপারেটিং সিস্টেমের মধ্যে প্রযুক্তিগত বৈপরীত্য রয়েছে যা লিনাক্সের সাফল্য নিয়ে আলোচনা করার সময় মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ। একটি নির্দিষ্ট উৎস অনুসারে, কার্নেলের গণিত কোপ্রসেসর ব্যবহার না করেই 387-FPU নির্দেশাবলী এবং সিস্টেম অনুকরণ করার ক্ষমতা রয়েছে এবং একাধিক প্রোগ্রাম চালানোর ক্ষমতা রয়েছে যার জন্য ফ্লোট-পয়েন্ট গণিত ক্ষমতার একটি স্তর প্রয়োজন। লিনাক্স ডেটা স্টোরেজের জন্য বিভিন্ন ফাইল সিস্টেম সমর্থন করে, এবং ext2 ফাইল সিস্টেমের মতো। এটি বিশেষভাবে লিনাক্সের জন্য তৈরি করা হয়েছিল।
=== অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস ===
==== অ্যান্ড্রয়েডের উন্নয়ন ====
[[চিত্র:Android_robot.png|থাম্ব| অ্যান্ড্রয়েড লোগো]]
২০০৭ সালের ৫ নভেম্বর তারিখে গুগলের মোবাইল ফোন অপারেটিং সিস্টেম [[Android(operating system)|অ্যান্ড্রয়েড]] সর্বজনীনভাবে আত্মপ্রকাশ করে। এর বিশ্বব্যাপী প্রবর্তন [[ওপেন হ্যান্ডসেট অ্যালায়েন্স|ওপেন হ্যান্ডসেট অ্যালায়েন্সের]] সৃষ্টি এবং প্রবর্তনের সাথেও সম্পর্কিত। কোম্পানিগুলোর একটি কনসোর্টিয়াম যারা তাদের পণ্যগুলোতে নতুন তৈরি অ্যান্ড্রয়েড সফটওয়্যার প্রয়োগ করে। কনসোর্টিয়ামটি জনসমক্ষে প্রকাশিত হওয়ার সময় এর ৩৪ সদস্যের তালিকায় টি-মোবাইল, [[স্যামসাং ইলেকট্রনিক্স]], [[এইচটিসি]] এবং [[সনি|সনির]] মতো কোম্পানিগুলো অন্তর্ভুক্ত ছিল। পরবর্তী বছরগুলোতে, [[তোশিবা]], এসার এবং [[ভোডাফোন|ভোডাফোনের]] মতো কোম্পানিগুলো যোগদানের সাথে সাথে সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। <ref>http://www.cnet.com/uk/news/googles-open-handset-alliance-gains-14-new-members/</ref> এই জোটটি ছিল গুগলের অ্যান্ড্রয়েডকে একটি উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যার হিসেবে বিকাশের সিদ্ধান্তের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপজাত।
রিচ মাইনার, [[অ্যান্ডি রুবিন]] এবং নিক সিয়ার্সকে সাধারণত অ্যান্ড্রয়েডের উদ্ভাবক হিসেবে কৃতিত্ব দেওয়া হয়। <ref>http://uk.businessinsider.com/how-android-was-created-2015-3?r=US&IR=T</ref> ২০০৫ সালে গুগল কর্তৃক কেনার আগে তারা একসাথে একটি ছোট কোম্পানি, Android.inc, হিসেবে অ্যান্ড্রয়েডে কাজ করেছিল। তাদের অধিগ্রহণের পর উপলব্ধ তহবিল বৃদ্ধি এবং প্রচুর নতুন সম্পদের আধিক্য উন্নয়ন প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে। দুই বছর পর প্রথম সর্বজনীনভাবে উপলব্ধ অ্যান্ড্রয়েড সফটওয়্যার তৈরি করা হয়। গুগল মূলত অ্যাপলের আইওএস-এর উন্নয়নের বিরোধিতা করে অপারেটিং সিস্টেমটি তৈরি করেছিল। ২০১০ সালে গুগলের আই/ও সম্মেলনের মূল বক্তৃতায়, গুগলের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট সোশ্যাল ভিক গুন্ডোত্রা দাবি করেছিলেন, "আমরা যদি পদক্ষেপ না নিই, তাহলে আমরা এক ভয়াবহ ভবিষ্যতের মুখোমুখি হব যেখানে একজন মানুষ, একজন ফোন, একজন ক্যারিয়ারই হবে ভবিষ্যৎ। এমন একটি ভবিষ্যৎ আমরা চাই না।" <ref>http://www.theatlantic.com/technology/archive/2013/12/the-day-google-had-to-start-over-on-android/282479/</ref>
অ্যান্ড্রয়েড প্রকাশের প্রায় এক বছর আগে, [[স্টিভ জবস]] ৯ জানুয়ারি, ২০০৭ তারিখে অ্যাপল আইফোন চালু করেছিলেন। গুগলের ভেতরে এই ঘোষণার প্রতিক্রিয়া ছিল অবাক করার মতো। গুগলের একজন কর্মচারী, ক্রিস ডিসালভো মন্তব্য করেছেন;<div align="center">
'''"একজন ভোক্তা হিসেবে আমি অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। আমি তাৎক্ষণিকভাবে একটি চাইছিলাম। কিন্তু একজন গুগল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে, আমি ভেবেছিলাম 'আমাদের নতুন করে শুরু করতে হবে। নব্বইয়ের দশকে আমরা যা হঠাৎ করে দেখেছিলাম তা এমন একটি জিনিস যা দেখলেই স্পষ্ট হয়ে ওঠে।"'''
</div>এই ঘোষণা অনুসারে অ্যান্ড্রয়েড ইঞ্জিনিয়ারদের দ্বারা তাড়াতাড়ি কিছু পরিবর্তন করা হয়। বিশেষ করে তাদের পণ্যে 'টাচস্ক্রিন' যুক্ত করা হয়। যদিও অ্যাপলের ঘোষণা অ্যান্ড্রয়ের আগে এসেছিল। এটি তাদের বাজারে সাময়িকভাবে লাভবান করতে সুবিধা দিয়েছিল। বিষয়টি অ্যান্ড্রয়েরডের একটি সুবিধাজনক অবস্থান হিসেবে দেখা হয়। কারণ এর ফলেঅ্যাপল কী মিস করেছে তা অ্যান্ড্রয়েরডের ইঞ্জিনিয়ারদেরকে দেখার সুযোগকরে দেয়।
অ্যান্ড্রয়েড উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যার লিনাক্সের উপর ভিত্তি করে তৈরি। ফলে এর সোর্স কোড সকলের জন্য প্রাপ্যতাযোগ্য করে তোলে, অ্যান্ড্রয়েডের লিনাক্স পিসিতে আমরা যে লিনাক্স ব্যবহার করি তার থেকে ভিন্নভাবে কাজ করে। পিসির মতো অ্যান্ড্রয়েড লিনাক্স কার্নেল সংস্করণের একটি পরিবর্তিত সংস্করণ ব্যবহার করে।তবে একই সংস্করণ নয়। অ্যান্ড্রয়েডের জন্য লিনাক্স স্মার্টফোনের কথা মাথায় রেখে ডিজাইন করা হয়েছে ।তাই মূল কার্নেলে অন্যান্য সমন্বয়ের সাথে টাচ-স্ক্রিন প্রোগ্রামিং যোগ করা হয়েছে। নিচে কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপাদানের তালিকা দেওয়া হলো।
* অ্যালার্ম ড্রাইভার: ডিভাইসগুলোকে ঘুম থেকে জাগানোর জন্য টাইমার সরবরাহ করে
* Ashmem: অ্যাপ্লিকেশনগুলোকে মেমরি ভাগ করে নেওয়ার সুযোগ দেয় এবং কার্নেল স্তরে ভাগ করে নেওয়ার ব্যবস্থা করে।
* বাইন্ডার ড্রাইভার: আন্তঃ-প্রক্রিয়া যোগাযোগ সহজতর করে কারণ শেয়ার্ড মেমোরি ব্যবহারের মাধ্যমে একাধিক অ্যাপ্লিকেশন দ্বারা ডেটা ভাগ করা যায়। IPC হিসেবে নিবন্ধিত একটি পরিষেবা
পরিষেবা প্রদানকারীদের বিভিন্ন থ্রেড নিয়ে চিন্তা করতে হবে না কারণ বাইন্ডার সেগুলো পরিচালনা, পর্যবেক্ষণ এবং পরিচালনা করবে। বাইন্ডার প্রক্রিয়াগুলোর মধ্যে সিঙ্ক্রোনাইজেশনেরও যত্ন নেয়।
* পাওয়ার ম্যানেজমেন্ট: স্ট্যান্ডার্ড লিনাক্স পাওয়ার ম্যানেজমেন্ট (PM) এর উপরে তৈরি এবং
বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনা এবং সাশ্রয়ের জন্য আরও আক্রমণাত্মক নীতি গ্রহণ করুন। <ref>http://www.handycodeworks.com/wp-content/uploads/2011/02/linux_versus_android.pdf</ref>
গুগল কেন অ্যান্ড্রয়েডকে একটি উন্মুক্ত উৎসের অপারেটিং সিস্টেম বানিয়েছে তা বিতর্কের বিষয়। বিরোধীরা যুক্তি দেন যে সিদ্ধান্তটি মূলত আর্থিক ভিত্তিক ছিল। উন্মুক্ত উৎসের প্রযুক্তির লাভ-ভিত্তিক একাধিক সুবিধা রয়েছে। এটি মূলত সিস্টেমের ব্যাপক জনপ্রিয়তার কারণে। এটি গুগলের নাগাল আরও বাড়িয়ে তোলে এবং তাদের ভোক্তা জনসংখ্যার পরিধি প্রসারিত করে। তবে তাদের ওয়েবসাইটে, অ্যান্ড্রয়েড ব্যাখ্যা করেছে কেন তারা একটি উন্মুক্ত উৎসের সিস্টেম ব্যবহার করে;
'''"অ্যান্ড্রয়েডের প্রাথমিক উদ্দেশ্য হলো ক্যারিয়ার, ওইএম এবং ডেভেলপারদের জন্য একটি উন্মুক্ত সফটওয়্যার প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা যাতে তারা তাদের উদ্ভাবনী ধারণাগুলোকে বাস্তবে রূপ দিতে পারে এবং একটি সফল, বাস্তব-বিশ্বের পণ্য প্রবর্তন করতে পারে যা ব্যবহারকারীদের জন্য মোবাইল অভিজ্ঞতা উন্নত করে। আমরা আরও নিশ্চিত করতে চেয়েছিলাম যে ব্যর্থতার কোনও কেন্দ্রীয় বিন্দু নেই, যেখানে একজন শিল্প খেলোয়াড় অন্য কারও উদ্ভাবনকে সীমাবদ্ধ বা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।"''' <ref>https://source.android.com/source/</ref>
==== আইওএসের উন্নয়ন ====
[[চিত্র:Steve_Jobs_presents_iPhone.jpg|থাম্ব| স্টিভ জবস আইফোন উপস্থাপন করছেন]]
অ্যাপলের মোবাইল ফোন অপারেটিং সিস্টেম, [[আইওএস]]। এটি পূর্বে ওএস নামে পরিচিত ছিল, ৯ জানুয়ারি, ২০০৭ সালে আইফোন প্রবর্তনের মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ করে। প্রথম আইফোনগুলো সেই গ্রীষ্মের পরে বিক্রি শুরু হবে। আইওএসের নকশা অ্যাপল ম্যাকিনটোশের অপারেটিং সিস্টেম ওএস এক্স-এর উপর ভিত্তি করে তৈরি। স্টিভ জবস কর্তৃক আইপড প্রোগ্রামিং এবং ম্যাকিনটোশ প্রোগ্রামিংয়ের মধ্যে একটি প্রতিযোগিতার পর এই সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে ম্যাকিনটোশ ভিত্তিক একটি সিস্টেমই সবচেয়ে উপযুক্ত। ম্যাকিনটোশ দলের নেতৃত্বে ছিলেনস্কট ফরস্টল। তাকে অ্যাপ স্টোর তৈরি এবং বিকাশের জন্য কৃতিত্ব দেওয়া হয়। <ref>http://www.bloomberg.com/news/articles/2011-10-12/scott-forstall-the-sorcerers-apprentice-at-apple</ref>
আইওএস একটি মালিকানাধীন অপারেটিং সিস্টেম এবং তাই এর সোর্স কোড প্রাপ্যতাযোগ্য বা পরিবর্তনযোগ্য নয়। অ্যাপলই একমাত্র কোম্পানি যার পণ্যে আইওএস ব্যবহারের সুযোগ এবং বৈধতা রয়েছে। অপারেটিং সিস্টেম পরিবর্তনের ক্ষেত্রে ব্যবহারকারীদের সীমিত প্রাপ্যতাের কারণে, জেলব্রেকিংয়ের প্রক্রিয়াটি জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে অ্যান্ড্রয়েডের মতো অপারেটিং সিস্টেমে বিরোধী সফটওয়্যারের উপাদান রয়েছে, এই ক্ষেত্রে ওপেন সোর্স। এমন দাবি করা হয়েছে যে স্টিভ জবস আসলে ওপেন সোর্সের একজন পথিকৃৎ ছিলেন। আইওএস-ভিত্তিক ম্যাক অপারেটিং সিস্টেমটি নিজেই ডারউইনের উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যারের উপর ভিত্তি করে তৈরি। ডারউইন ২০০৩ সালে অ্যাপল দ্বারা একটি বিনামূল্যের এবং উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যার লাইসেন্সের অধীনে প্রকাশিত হয়েছিল। অধিকন্তু, স্টিভ জবস দাবি করেছেন যে অ্যান্ড্রয়েড "আসলে তেমন খোলা নয়" তিনি উল্লেখ করেছেন যে কিছু মোবাইল ডিভাইস কোম্পানি যেমন এইচটিসি তাদের ইন্টারফেসে মালিকানাধীন সফটওয়্যার ব্যবহার করেছে। তিনি এতে অসন্তোষ প্রকাশ করেন কারণ এর ফলে ব্যবহারকারীদের নিজেরাই এটি সমাধান করতে হয়। এটিকে অ্যাপল মালিকানাধীন সফটওয়্যার বাস্তবায়নের অন্যতম কারণ হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে; ডিভাইসের ব্যবহারকারী-বান্ধবতা উন্নত করার জন্য।
অ্যান্ড্রয়েডের মতোই, যুক্তি দেওয়া হয় যে এই সিদ্ধান্তটি মূলত আর্থিক ভিত্তিক ছিল। সফটওয়্যারটির কপিরাইট করার মাধ্যমে তারা অন্যান্য কোম্পানিগুলোকে এটি ব্যবহার থেকে বিরত রাখে, তাই যারা ইন্টারফেসটি উপভোগ করেছেন তাদের অ্যাপল পণ্য কিনতে হবে। অ্যাপল স্বীকার করেছে যে অনলাইন সম্প্রদায়ের মধ্যে, বিশেষ করে হ্যাকার সম্প্রদায়ের মধ্যে, প্রোপ্রাইটারিকে অবজ্ঞা করা হয়, তাই তারা টাচস্ক্রিন এবং হোম বোতামের মতো নির্দিষ্ট উদ্ভাবনী বৈশিষ্ট্যগুলোর উপর IOS প্রকাশের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করেছে। মালিকানাধীন সমালোচকরা যুক্তি দেন যে উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যার অ্যাপলের জন্য অনিবার্য। <ref>http://www.wired.com/2015/06/open-sourcing-no-longer-optional-not-even-apple/</ref> তাদের যুক্তি হলো, অ্যাপল যদি প্রতিটি নতুন সংস্করণের সাথে মালিকানার মাত্রা বৃদ্ধি করতে থাকে, তাহলে তারা তাদের জনপ্রিয় অ্যাপ্লিকেশনগুলোর বেশিরভাগের জন্য নির্ভরশীল ডেভেলপারদের বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার ঝুঁকিতে পড়বে। মাইক্রোসফটের লিনাক্সের সাম্প্রতিক গ্রহণযোগ্যতা অ্যাপলের উপর আরও চাপ সৃষ্টি করেছে কারণ মাইক্রোসফটের মালিকানাধীন সফটওয়্যারের সাথে দীর্ঘদিনের মৌলিক সম্পর্ক রয়েছে।
==== বিতর্কের ভূমিকা ====
বিপরীত অপারেটিং সিস্টেমগুলোকে ঘিরে বিতর্কের ব্যবহারিক এবং আদর্শিক উভয় দিক থেকেই গুরুত্ব রয়েছে। ব্যবহারিকতার বিষয়গুলো অনলাইন ফোরামগুলোতে প্রাধান্য পায় এবং প্রায়ই উভয়ের মধ্যে তুলনা করা হয়। ব্যবহারকারী-বান্ধবতা, গোপনীয়তা, নিরাপত্তা, কাস্টমাইজেবিলিটি এবং অ্যাপ্লিকেশনগুলো সরাসরি অপারেটিং সিস্টেমের প্রকৃতি দ্বারা প্রভাবিত হয়, তা মালিকানাধীন হোক বা ওপেন সোর্স। সাধারণ জনগণের কাছে এগুলো বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে হয়। কিন্তু কিছু মানুষের কাছে, বিশেষ করে হ্যাকার সম্প্রদায় এবং ইন্টারনেট কর্মীদের মধ্যে যারা আছেন তাদের কাছে, বিপরীত অপারেটিং সিস্টেমগুলো বিপরীত মতাদর্শের প্রতিনিধিত্ব করে। অ্যান্ড্রয়েডকে 'জনস্বার্থ' হিসেবে দেখা হয়, যেখানে আইওএস 'মানুষের স্বার্থের' প্রতিনিধিত্ব করে। মাইক্রোসফটের গবেষণা সমাজবিজ্ঞানী মার্ক এ. স্মিথ ব্যাখ্যা করেছেন কিভাবে এই দুটির মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখার প্রয়োজন। তিনি "মুক্ত রাইডার" ধারণাটি বর্ণনা করেছেন যারা জনসাধারণের কল্যাণে অবদান না রেখেই তা ব্যবহার করে। এই ধারণাটি বেশিরভাগ অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীদের জন্য প্রযোজ্য হবে যারা সোর্স কোড প্রাপ্যতা বা পরিবর্তন করেন না।
বিরোধী মতাদর্শের পাশাপাশি এটি বিরোধী [[বিবর্তন|বিবর্তনীয় ব্যাখ্যার]] প্রতিনিধিত্ব করে। এমন ধারণা রয়েছে যে প্রতিযোগিতাই ছিল বিবর্তনের একমাত্র চালিকা শক্তি। এটি আইওএস এবং মালিকানাধীন সফটওয়্যারকে সমাজের জন্য সাধারণত উপকারী হিসাবে ব্যাখ্যা করবে। এর বিরোধিতা করা হয় এই দাবির মাধ্যমে যে সহযোগিতা বিবর্তনের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক এবং বর্ধিত প্রাণীজগতেও এটি প্রতিনিধিত্ব করে। <ref>Rheingold, H. (2003). Smart mobs. Cambridge, MA: Perseus Pub. pg39</ref> লিনাক্সকে বর্ণনা করা হয়েছে, "ডেভেলপারদের দ্বারা প্রবর্তিত মিউটেশনের উপর এক ধরণের দ্রুত ডারউইনীয় নির্বাচন তৈরি করা।" "
অনেক দিক থেকেই অপারেটিং সিস্টেমের স্পষ্ট উল্লেখ ছাড়াই জনপ্রিয় বিতর্কটি ঘটেছে। দুটি সর্বাধিক জনপ্রিয় অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে তারা তাদের নিজস্ব ফ্যান ওয়েবসাইট এবং মিটআপের মাধ্যমে উৎসাহী ভক্তদের আকর্ষণ করেছে। সিস্টেমগুলো গুগল এবং অ্যাপলের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্বদের, যেমন স্টিভ জবসের সাথে সেলিব্রিটির লড়াইয়ে প্রবেশ করেছে, অপারেটিং সিস্টেমের চেয়ে বেশি বিখ্যাত হয়ে উঠেছে। নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক এরিক রোবেলস-অ্যান্ডারসন এবং অন্যান্যরা অ্যাপলকে একটি ' ধর্ম-সংস্কৃতি ' হিসেবে বর্ণনা করেছেন। <ref>http://www.techinsider.io/nyu-professor-says-apple-is-a-cult-2015-9</ref> এটিই ছিল 'ম্যাকহেডস' তথ্যচিত্রের ভিত্তি। অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস-এর এখন বিশাল সংখ্যক প্রতিষ্ঠিত ভক্ত রয়েছে যারা তাদের নিজ নিজ অপারেটিং সিস্টেমের প্রতি অনুগত এবং একে অপরের পণ্য কিনবে না <ref>http://www.telegraph.co.uk/technology/apple/10632787/iPhone-owners-admit-having-blind-loyalty-to-Apple.html</ref>
==== অ্যান্ড্রয়েডের সুবিধা এবং সমালোচনা ====
'''প্রাপ্যতা এবং সামঞ্জস্য'''
ব্যবহারকারীদের কাছে এর বিশাল প্রাপ্যতার জন্য অ্যান্ড্রয়েড ধারাবাহিকভাবে প্রশংসিত হয়। এটি এর উন্মুক্ত উৎসের বৈশিষ্ট্যের প্রত্যক্ষ ফলাফল। অনেক কোম্পানি তাদের পণ্যে অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহার করে। এর ফলে গ্রাহকরা আইওএস পরিচালিত পণ্যের তুলনায় ফোন এবং ট্যাবলেটের একটি উল্লেখযোগ্য বিস্তৃত নির্বাচন থেকে পছন্দ করতে পারেন। বিপুল সংখ্যক অ্যান্ড্রয়েড প্রস্তুত ডিভাইসের কারণে পরবর্তীতে অ্যান্ড্রয়েড ৮০% এরও বেশি শেয়ার নিয়ে বাজারে আধিপত্য বিস্তার করতে সক্ষম হয়েছে। <ref>http://www.idc.com/prodserv/smartphone-os-market-share.jsp</ref> এটি সাধারণত (অ্যাপাচি সফটওয়্যার লাইসেন্স ২.০ (এপিএল২.০), একটি বিনামূল্যের সফটওয়্যার লাইসেন্সের অধীনে পরিচালিত লাইসেন্সের কারণে, নির্মাতারা তাদের নিজস্ব স্পেসিফিকেশন অনুসারে সোর্স কোড পরিবর্তন করতে পারে। <ref>http://www.idc.com/prodserv/smartphone-os-market-share.jsp</ref> এইভাবে অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীরা নির্মাতার উপর নির্ভর করে ভিন্ন অভিজ্ঞতা পেতে পারেন। এটি বৈচিত্র্য এবং পছন্দ বৃদ্ধির কারণে উপকারী বলে মনে করা হয়, তবে বিভিন্ন অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং ডিভাইসের মধ্যে মানের বৈষম্যের জন্য এটি সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছে।
'''কাস্টমাইজেবিলিটি'''
অ্যান্ড্রয়েডে, কাস্টমাইজেশনকে প্রকাশ্যে উৎসাহিত করা হয় এবং তাই এটি অনেক হ্যাকারের কার্যত পছন্দ। কাস্টমাইজেশনের এই সুযোগটি ব্যাপক, যেখানে ব্যবহারকারীরা আরও জটিল কাজ করতে পারবেন, যেমন সোর্স কোডে অবদান রাখা এবং প্রচলিত কাস্টমাইজেশনের ত্রুটিগুলো সনাক্ত করা, যেমন টোয়াইলাইট এবং এয়ারড্রয়েডের মতো অ্যাপ ইনস্টল করা এবং অ্যাপ আইকন পরিবর্তন করা। সোর্স কোডটি উপলব্ধ এবং ব্যবহারকারীদের ইচ্ছানুযায়ী ব্যবহার করার জন্য প্রস্তুত। কাস্টমাইজেশনের সাথে এর ইতিবাচক প্রভাবের দুটি ধারণা রয়েছে; অভ্যন্তরীণ এবং বাহ্যিক। অভ্যন্তরীণ বলতে ব্যবহারকারীর নিজস্ব কাস্টমাইজেশন সম্পাদনের মাধ্যমে অর্জিত সন্তুষ্টি বোঝায়, অন্যদিকে বহির্মুখী বলতে কাস্টমাইজেশনের ফলে হওয়া উন্নতির মাধ্যমে ব্যবহারকারীর সন্তুষ্টি বোঝায় ঠিক যেমন আপনি অ্যাপ ডিজাইন করতে এবং [[গুগল প্লে|গুগল প্লে স্টোরে]] অফার করতে সক্ষম হন, আপনি স্টোরের সোর্স কোডও পরিবর্তন করতে পারেন। এই উন্মুক্ততার ফলে অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ ডাউনলোডের সংখ্যা আইওএস-এর চেয়ে বেশি হয়ে গেছে, যদিও এটি অ্যান্ড্রয়েড এবং অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ ডেভেলপারদের উপর একটি বড় নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে: রাজস্ব হ্রাস। গুগল প্লে অ্যাপলের [[App store (IOS)|অ্যাপ স্টোরের তুলনায় ৭০% কম আয় করে।]]
'''ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা'''
অ্যান্ড্রয়েডের সাথে সঠিক ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা নির্মাতাদের মূল সোর্স কোডের পরিবর্তনের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হয়, যদিও প্রযুক্তি সম্প্রদায়ে সাধারণীকরণ করা যেতে পারে এবং করা হয়েছে। অ্যান্ড্রয়েডের খ্যাতি আইওএসের মতো 'পরিষ্কার' না হওয়া এবং 'খাটো' হওয়ার জন্য উন্মুক্ত উৎসের উৎসের কারণে, এর নকশাটি তার প্রতিযোগীর মতো পরিশীলিত বলে বিবেচিত হয় না এবং 'কার্টুনিশ' হওয়ার জন্য আরও সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছে। অন্যান্য অপারেটিং সিস্টেমের সাথে অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতার তুলনা করে করা একটি জরিপে দেখা গেছে যে এটি IOS এর তুলনায় কম স্কোর করেছে (৫৭.২৫ থেকে ৭৩.২৫) ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো প্রাথমিকভাবে ব্যবহারের সহজতা, বিশেষ করে একজন অ-প্রযুক্তিগত ব্যবহারকারীর জন্য। আরেকটি জরিপে দেখা গেছে যে অ্যান্ড্রয়েডের জ্ঞানীয় লোড সবচেয়ে বেশি, সংশ্লিষ্ট IOS এর তুলনায় চার গুণ বেশি। ধারণা করা হচ্ছে,অ্যান্ড্রয়েড স্বাভাবিকভাবে ব্যবহার করতে আইওএসের তুলনায় বেশি সময় নেয়।
'''গোপনীয়তা'''
অ্যান্ড্রয়েড বিজ্ঞাপন লাইব্রেরিগুলোর উপর গবেষণায় দেখা গেছে যে বিজ্ঞাপনগুলো ব্যবহারকারীর অবস্থান, পরিচিতি, ফোন নম্বর সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহ করতে পারে এবং এমনকি ক্যামেরা এবং মাইক্রোফোনেও প্রাপ্যতা পেতে পারে এটি বিজ্ঞাপনগুলোকে সংগৃহীত তথ্যের উপর ভিত্তি করে তাদের ব্যবহারকারীকে আরও ভালভাবে লক্ষ্য করতে দেয়। যখন কোনও বিজ্ঞাপন আপনার নাম, ঠিকানা এবং সহযোগীদেরও শনাক্ত করতে সক্ষম হয়, তখন এটি আরও গুরুতর গোপনীয়তার সমস্যা হয়ে উঠতে পারে। এটি অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস প্ল্যাটফর্মের জন্য একটি সমস্যা। দেখা গেছে যে গ্রাহকরা প্রায়ই ডিফল্ট গোপনীয়তা বিকল্পগুলোতে সম্মতি জানান। এর ফলে গোপনীয়তা কর্মীরা 'অপ্ট ইন' বৈশিষ্ট্যের জন্য প্রচারণা চালাচ্ছেন, যেমনটি ইইউতে দেখা যায়। এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা একটি বিজ্ঞাপনের প্রাপ্যতা সম্পর্কে আরও স্বচ্ছ ধারণা দিচ্ছেন। যদিও অ্যাপের গোপনীয়তার স্পেসিফিকেশনের জন্য অ্যান্ড্রয়েড সমালোচিত হয়েছে, তবুও অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস উভয়কেই এই আইনগুলো মেনে চলতে হবে। এটি ব্যবহারকারীকে অ্যাপের গোপনীয়তা চুক্তি গ্রহণ বা প্রত্যাখ্যান করার সুযোগ দেয় কিন্তু পরবর্তী সময়ে এতে কোনও পরিবর্তন আনে না। বিপরীতে, IOS ব্যবহারকারীকে গোপনীয়তা চুক্তি গ্রহণের পরে একটি অ্যাপের নির্দিষ্ট প্রাপ্যতা নিষ্ক্রিয় করার সুযোগ দেয়, যেমন ক্যামেরা প্রাপ্যতা নিষ্ক্রিয় করা।
'''ওয়েব ব্রাউজার'''
অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীকে তাদের পছন্দের ডিফল্ট ওয়েব ব্রাউজার নির্ধারণ করতে দেয়। এটি গুগল প্লে স্টোর থেকে একটি তৃতীয় পক্ষের অ্যাপ অধিগ্রহণের মাধ্যমে করা হয় তবে অ্যান্ড্রয়েডের অ্যাপল-বিকশিত ব্রাউজার [[সাফারি (ওয়েব ব্রাউজার)|সাফারিতে]] প্রাপ্যতা নেই; আইওএসের তুলনায় ব্যবহারকারীদের তাদের পছন্দের ব্রাউজারটি সম্পূর্ণরূপে পরিবর্তন করার সুযোগ দেওয়ার জন্য অ্যান্ড্রয়েড প্রশংসিত হয়েছে, যেখানে সাফারি অন্তর্নির্মিত এবং আনইনস্টল করা যায় না।
'''প্রাপ্যতা এবং সামঞ্জস্য'''
IOS উপলব্ধ এবং শুধুমাত্র Apple পণ্যের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এই বৈশিষ্ট্যটি সমালোচিত হয়েছে কারণ এর অর্থ হলো অ্যাপ স্টোর এবং গুগল প্লে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়, তাই ব্যবহারকারীরা অ্যাপগুলোতে একই স্তরের প্রাপ্যতা পান না। যদিও অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম ওপেন সোর্স, গুগল প্লে নয়। শুধুমাত্র অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীরা এটি ব্যবহার করতে পারবেন। আইওএসের বাজার শেয়ার ১৩.৯। % <ref>http://www.idc.com/prodserv/smartphone-os-market-share.jsp</ref> মানে IOS ব্যবহারকারীরা সংখ্যালঘু।
'''কাস্টমাইজেবিলিটি'''
IOS সোর্স কোড কোনওভাবেই ব্যবহারকারীর জন্য কাস্টমাইজযোগ্য নয়। এটি অনেককে ক্ষুব্ধ করেছে এবং জেলব্রেকিংয়ের এখন সাধারণ এবং আইনত অস্পষ্ট প্রথার দিকে পরিচালিত করেছে। এই অনুশীলনের মধ্যে রয়েছে [[ডিজিটাল অধিকার ব্যবস্থাপনা|ডিজিটাল রাইটস ম্যানেজমেন্ট (DRM)]] বিধিনিষেধ উপেক্ষা করা এবং সফটওয়্যার পরিবর্তন করা। এটি মূলত "একটি পরিবর্তিত কার্নেল প্যাচ সেট (কার্নেল অপারেটিং সিস্টেমের তত্ত্বাবধায়ক) ইনস্টল করার প্রক্রিয়া যা আপনাকে স্বাক্ষরবিহীন কোড চালানোর সুযোগ দেয়" হিসাবে ভাবা যেতে পারে। অ্যাপল উন্নত আপডেটের মাধ্যমে জেলব্রেকিং সীমিত করার চেষ্টা করেছে। অ্যাপলের সাপোর্ট পেজে জেলব্রেকিংয়ের অসুবিধাগুলো ব্যাখ্যা করা হয়েছে;
* নিরাপত্তা দুর্বলতা: আপনার ডিভাইস জেলব্রেক করলে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য এবং আপনার iOS ডিভাইস সুরক্ষিত রাখার জন্য তৈরি নিরাপত্তা স্তরগুলো দূর হয়ে যায়। আপনার iOS ডিভাইস থেকে এই নিরাপত্তা ব্যবস্থা সরিয়ে ফেলা হলে, হ্যাকাররা আপনার ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করতে পারে, আপনার ডিভাইসের ক্ষতি করতে পারে, আপনার নেটওয়ার্ক আক্রমণ করতে পারে, অথবা ম্যালওয়্যার, স্পাইওয়্যার বা ভাইরাস প্রবেশ করাতে পারে।
* অস্থিরতা: ডিভাইসের ঘন ঘন এবং অপ্রত্যাশিত ক্র্যাশ, বিল্ট-ইন অ্যাপ এবং থার্ড-পার্টি অ্যাপের ক্র্যাশ এবং ফ্রিজ, এবং ডেটা হারানো।
* ব্যাটারির আয়ু কমে গেছে: হ্যাক করা সফটওয়্যারটির কারণে ব্যাটারি দ্রুত শেষ হয়ে গেছে। এটি একবার ব্যাটারি চার্জ করলেই আইফোন, আইপ্যাড বা আইপড টাচের কাজকর্ম কমিয়ে দেয়।
* অবিশ্বস্ত ভয়েস এবং ডেটা: কল বন্ধ, ধীর বা অবিশ্বস্ত ডেটা সংযোগ, এবং বিলম্বিত বা ভুল অবস্থান ডেটা।
* পরিষেবার ব্যাঘাত: ভিজ্যুয়াল ভয়েসমেইল, আবহাওয়া এবং স্টকের মতো পরিষেবাগুলো ডিভাইসে ব্যাহত হয়েছে অথবা আর কাজ করছে না। এছাড়াও, অ্যাপল পুশ নোটিফিকেশন সার্ভিস ব্যবহারকারী তৃতীয় পক্ষের অ্যাপগুলোর বিজ্ঞপ্তি পেতে অসুবিধা হয়েছে অথবা এমন বিজ্ঞপ্তি পেয়েছে যা অন্য কোনও হ্যাক করা ডিভাইসের জন্য তৈরি। [[আইক্লাউড|iCloud]] এবং Exchange-এর মতো অন্যান্য পুশ-ভিত্তিক পরিষেবাগুলো তাদের নিজ নিজ সার্ভারের সাথে ডেটা সিঙ্ক্রোনাইজ করতে সমস্যায় পড়েছে।
* ভবিষ্যতে সফটওয়্যার আপডেট প্রয়োগ করতে অক্ষমতা: কিছু অননুমোদিত পরিবর্তন iOS-এর এমন ক্ষতি করেছে যা মেরামতযোগ্য নয়। এর ফলে ভবিষ্যতে অ্যাপল-সরবরাহকৃত iOS আপডেট ইনস্টল করার সময় হ্যাক হওয়া আইফোন, আইপ্যাড, বা আইপড টাচ স্থায়ীভাবে অকার্যকর হয়ে যেতে পারে।
'''ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা'''
আইওএস-এর ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতার জন্য অ্যাপল মূলত প্রশংসিত হয়েছে। এটি 'নান্দনিক অখণ্ডতা' এবং 'ধারাবাহিকতা' নীতির উপর নির্ভর করে অ্যাপল উল্লেখ করেছে যে নান্দনিকতার সাথে এটি সৌন্দর্য সম্পর্কে খুব বেশি কিছু নয় বরং, "একটি অ্যাপের চেহারা এবং আচরণ কতটা ভালোভাবে তার কার্যকারিতার সাথে একটি সুসংগত বার্তা পাঠায় তা বোঝায়।" "আইওএস-এর অ্যাপ স্টোরে অ্যান্ড্রয়েডের গুগল প্লে-এর তুলনায় কঠোর নির্দেশিকা রয়েছে।" এটি ইতিবাচক নাকি নেতিবাচক বৈশিষ্ট্য তা নিয়ে মতবিরোধ রয়েছে। IOS-এর 'ধারাবাহিকতা' নীতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ, সমস্ত অ্যাপই মানুষের দ্বারা পর্যালোচনা করা হয়, সম্প্রতি অ্যান্ড্রয়েডও এই বৈশিষ্ট্যটি গ্রহণ করেছে। এটিকে আইওএসের কঠোর নির্দেশিকাগুলো ইতিবাচক বলে গ্রহণযোগ্যতা হিসেবে দেখা হচ্ছে।
'''ওয়েব ব্রাউজার'''
গুগল ক্রোম এবং ফায়ারফক্সের মতো একাধিক উন্মুক্ত উৎসের ওয়েব ব্রাউজার আইওএস সহ অ্যাপ স্টোর থেকে ডাউনলোডের জন্য উপলব্ধ। তবে Safari হলো বিল্ট-ইন ইন্টারনেট ব্রাউজার, এবং তাই, খোলা যেকোনো লিঙ্ক Safari তে পুনঃনির্দেশিত হবে ব্যবহারকারীদের দ্বারা Safari প্রশংসিত এবং সমালোচিত উভয়ই হয়েছে। অ্যাপল তার ব্রাউজারগুলো (সাফারি, ক্রোম, ফায়ারফক্স ইত্যাদি) ওয়েবকিট তে চালায় তাই গতি ধারাবাহিকভাবে বেশি থাকে। 'ট্র্যাক করবেন না' বৈশিষ্ট্যটি সমর্থন করার জন্য সাফারিও প্রশংসিত হয়েছে। স্মার্টফোনের গোপনীয়তা নিয়ে উদ্বিগ্ন ব্যক্তিদের জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি বিজ্ঞাপনদাতাদের অনলাইনে আপনার ট্র্যাক করা বন্ধ করে দেয়। তবে আইওএসের মালিকানাধীন প্রকৃতির কারণে, তারা অন্যান্য ওয়েব ব্রাউজারগুলোতে এই ফাংশনের প্রাপ্যতা সীমিত করেছে, তাদের সাফারি ব্যবহারে রাজি করার একটি ধারণাগত প্রচেষ্টা হিসেবে। তৃতীয় পক্ষের ব্রাউজারগুলোতে IOS-এর আরও অনেক বিধিনিষেধ রয়েছে। যেহেতু Safari iOS-এ অন্তর্নির্মিত, তাই সিস্টেম ক্র্যাশ বিশ্বব্যাপী একাধিক ডিভাইসের বেশিরভাগ IOS ব্যবহারকারীকে প্রভাবিত করবে। ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে এই ঘটনাটি ঘটেছিল যখন কোনও ব্যবহারকারী অ্যাড্রেস বারে কিছু অনুসন্ধান করলে একটি বাগ সাফারি ক্র্যাশ করে
==== অ্যান্ড্রয়েড প্ল্যাটফর্ম নিরাপত্তা ====
'''অ্যান্ড্রয়েড নিরাপত্তা প্রতিশ্রুতি'''
অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল প্ল্যাটফর্মের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ এবং ব্যবহারযোগ্য অপারেটিং সিস্টেম হতে চায়, ঐতিহ্যবাহী অপারেটিং সিস্টেমের নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রণগুলোকে পুনঃউদ্দেশ্য দিয়ে:
* ব্যবহারকারীর ডেটা সুরক্ষিত করুন
* সিস্টেম রিসোর্স (নেটওয়ার্ক সহ) সুরক্ষিত করুন
* অ্যাপ্লিকেশন আইসোলেশন প্রদান করুন
এই লক্ষ্যগুলো অর্জনের জন্য, অ্যান্ড্রয়েড এই গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্যগুলো প্রদান করে:
* লিনাক্স কার্নেলের মাধ্যমে অপারেটিং সিস্টেম স্তরে শক্তিশালী নিরাপত্তা
* সকল অ্যাপ্লিকেশনের জন্য বাধ্যতামূলক অ্যাপ্লিকেশন স্যান্ডবক্স
* নিরাপদ আন্তঃপ্রক্রিয়া যোগাযোগ
* আবেদনপত্র স্বাক্ষর
* অ্যাপ্লিকেশন-সংজ্ঞায়িত এবং ব্যবহারকারী-প্রদত্ত অনুমতি
'''অ্যান্ড্রয়েড নিরাপত্তা সমালোচনা'''
অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ্লিকেশনগুলো একটি স্যান্ডবক্সে চলে। এটি সিস্টেমের একটি বিচ্ছিন্ন এলাকা যেখানে সিস্টেমের বাকি সংস্থানগুলোতে প্রাপ্যতা থাকে না, যদি না অ্যাপ্লিকেশনটি ইনস্টল করার সময় ব্যবহারকারী দ্বারা স্পষ্টভাবে প্রাপ্যতাের অনুমতি দেওয়া হয়। যদিও, Felt & Chin (২০১২) এর পর্যবেক্ষণ অনুযাতী, "'স্যান্ডবক্সিং' এবং অনুমতি ব্যবস্থা অ্যাপ্লিকেশনগুলোতে দুর্বলতা এবং বাগের প্রভাব কমায়। কিন্তু ডেভেলপারদের বিভ্রান্তি এবং সীমিত ডকুমেন্টেশনের ফলে অ্যাপ্লিকেশনগুলো নিয়মিতভাবে অপ্রয়োজনীয় অনুমতির অনুরোধ করে। এর ফলে এর কার্যকারিতা হ্রাস পায়"। এর উপরে, এটিও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে যে অ্যান্ড্রয়েডের ফ্র্যাগমেন্টেশন নিরাপত্তার জন্যও একটি সমস্যা। কারণ মূল অপারেটিং সিস্টেমে পাওয়া বাগের প্যাচগুলো প্রায়ই পুরানো এবং কম দামের ডিভাইসের ব্যবহারকারীদের কাছে পৌঁছায় না (কিংসলে-হিউজেস, ২০১৫)। অধিকন্তু, কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় দুর্বলতার উপর গবেষণা চালিয়েছে, যেখানে তারা এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে যে "বিক্রেতাদের প্যাচ এবং আপডেট সহ পুরানো ডিভাইসগুলোকে সমর্থন করতে ব্যর্থতার ফলে সক্রিয় ডিভাইসগুলোর সাতাশি শতাংশেরও বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে" (থমাস, বেরেসফোর্ড এবং রাইস ২০১৪)।
'''নম্বর অনুসারে অ্যান্ড্রয়েড'''
২০১৩ সালের ৩ সেপ্টেম্বরের তথ্য অনুযায়ী গুগল প্লে অ্যাপ স্টোর এক বিলিয়নেরও বেশি অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস সক্রিয় করেছে। আনুমানিক হিসাব অনুসারে, ৪০০ টিরও বেশি অ্যাপ্লিকেশন কমপক্ষে এক কোটি বার এবং ৮০০ টিরও বেশি অ্যাপ্লিকেশন কমপক্ষে পাঁচ কোটি বার ইনস্টল করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এই অ্যাপগুলো হলো গুগল প্লে অ্যাপ যার ডাউনলোড সংখ্যা অনন্য ডিভাইসে এক বিলিয়নেরও বেশি। ২০১৫ সালের ২৫শে জুন তারিখের তথ্য অনুযায়ী এই শীর্ষ বিভাগে স্থান পাওয়ার জন্য ১২টি অ্যাপ্লিকেশন রয়েছে। এগুলোর প্রতিটিই গুগল অথবা ফেসবুকের মালিকানাধীন:
# জিমেইল
# গুগল ম্যাপস
# ইউটিউব
# ফেসবুক
# গুগল সার্চ
# গুগল+
# হোয়াটসঅ্যাপ
# গুগল টেক্সট-টু-স্পিচ
# গুগল বই
# বার্তাবহ
# গুগল হ্যাঙ্গআউট
# গুগল ক্রোম
'''আইওএস প্ল্যাটফর্ম নিরাপত্তা'''
প্রতিটি iOS ডিভাইস সর্বাধিক নিরাপত্তা এবং স্বচ্ছ ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতার জন্য একসাথে কাজ করার জন্য ডিজাইন করা সফটওয়্যার, হার্ডওয়্যার এবং পরিষেবাগুলোকে একত্রিত করে। iOS কেবল ডিভাইস এবং এর ডেটাই সুরক্ষিত রাখে না, বরং সমগ্র ইকোসিস্টেমকে সুরক্ষিত রাখে, যার মধ্যে রয়েছে স্থানীয়ভাবে, নেটওয়ার্কে এবং গুরুত্বপূর্ণ ইন্টারনেট পরিষেবাগুলোর মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা যা কিছু করেন তা। iOS-এর অনেক নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য ডিফল্টরূপে সক্রিয় থাকে, তাই আইটি বিভাগগুলোকে ব্যাপক কনফিগারেশন সম্পাদনের প্রয়োজন হয় না। এবং ডিভাইস এনক্রিপশনের মতো গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্যগুলো কনফিগারযোগ্য নয়, তাই ব্যবহারকারীরা ভুল করেও সেগুলো অক্ষম করতে পারবেন না। অন্যান্য বৈশিষ্ট্য, যেমন টাচ আইডি, ডিভাইসটিকে সুরক্ষিত করা সহজ এবং আরও স্বজ্ঞাত করে ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা উন্নত করে।
'''আইওএস নিরাপত্তা প্রতিশ্রুতি'''
অ্যাপল নিরাপত্তার বিষয়টিকে কেন্দ্র করে iOS প্ল্যাটফর্মটি ডিজাইন করেছে। যখন আমরা সর্বোত্তম সম্ভাব্য মোবাইল প্ল্যাটফর্ম তৈরির লক্ষ্যে যাত্রা শুরু করি, তখন আমরা কয়েক দশকের অভিজ্ঞতা থেকে সম্পূর্ণ নতুন একটি স্থাপত্য তৈরি করি। ফলস্বরূপ, মোবাইল ডিভাইসের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে iOS একটি বড় অগ্রগতি।
আইওএস সিকিউরিটি নিম্নলিখিত বৈশিষ্ট্যগুলো প্রদান করতে চায়:
* সিস্টেম নিরাপত্তা: সমন্বিত এবং সুরক্ষিত সফটওয়্যার এবং হার্ডওয়্যার যা প্ল্যাটফর্ম
আইফোন, আইপ্যাড এবং আইপড টাচের জন্য।
* এনক্রিপশন এবং ডেটা সুরক্ষা: স্থাপত্য এবং নকশা যা ব্যবহারকারীর ডেটা সুরক্ষিত রাখে যদি
ডিভাইসটি হারিয়ে গেলে বা চুরি হয়ে গেলে, অথবা যদি কোনও অননুমোদিত ব্যক্তি এটি ব্যবহার বা পরিবর্তন করার চেষ্টা করে।
* অ্যাপ নিরাপত্তা: এমন সিস্টেম যা অ্যাপগুলোকে নিরাপদে এবং আপস ছাড়াই চালাতে সক্ষম করে
* নেটওয়ার্ক নিরাপত্তা: ট্রান্সমিশনে ডেটার প্রমাণীকরণ এবং এনক্রিপশনের মাধ্যমে শিল্প-মানক নেটওয়ার্কিং প্রোটোকল যা নিরাপদ প্রদান করে ।
* অ্যাপল পে: অ্যাপলের নিরাপদ পেমেন্ট বাস্তবায়ন।
* ইন্টারনেট পরিষেবা: মেসেজিং, সিঙ্কিং এবং ব্যাকআপ।
* ডিভাইস কন্ট্রোল: এমন পদ্ধতি যা ডিভাইসের অননুমোদিত ব্যবহার প্রতিরোধ করে এবং সক্ষম করে। এর মাধ্যমে হারিয়ে গেলে বা চুরি হয়ে গেলে দূর থেকে মুছে ফেলা হবে।
* প্রাইভেসি কন্ট্রোল: iOS এর ক্ষমতা যা লোকেশন প্রাপ্যতা নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যবহার করা যেতে পারে
'''আইওএস নিরাপত্তা সমালোচনা'''
নিরাপত্তা হুমকি মোকাবেলায় অ্যাপলের উন্মুক্ততা নিয়ে বিশেষজ্ঞ এবং সাংবাদিক উভয়ই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। বিশেষ করে তারা আশঙ্কা করছে যে অ্যাপল তার নিরাপত্তা দুর্বলতা সম্পর্কে জনসাধারণকে অবহিত করার জন্য পদক্ষেপ না নিয়ে তার ক্লায়েন্টদের বিপদে ফেলবে। তবে অ্যাপল পণ্যের নিরাপত্তা দুর্বলতা সম্পর্কে জনগণের সচেতনতার অভাব জনসাধারণকে বিভ্রান্ত করার জন্য অ্যাপলের সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। এটি বছরের পর বছর ধরে বেড়েছে (ভিয়েগা, ২০০৯)। এই সমালোচনা অ্যাপলের সময়মতো নিরাপত্তা আপডেট সহ তার পণ্যগুলো আপডেট করতে ব্যর্থতার দিকেও দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। কিছু বিশেষজ্ঞের মতে, সামগ্রিকভাবে, অ্যাপল পণ্যগুলোতে হ্যাকারদের আক্রমণ বা ভাইরাস/ম্যালওয়্যার দ্বারা সংক্রামিত হওয়ার সম্ভাবনা কম, যদিও তারা জোর দিয়ে বলেন যে এটি মূলত অ্যাপল পণ্যগুলোতে আক্রমণে হ্যাকারদের আগ্রহের অভাবের কারণে, যদিও iCloud এবং অ্যাপল ডিভাইসগুলোকে ঘিরে সাম্প্রতিক নিরাপত্তা হুমকিগুলো অন্যথার ইঙ্গিত দেয়।
২০১৩ সালের জুন মাসে দ্য গার্ডিয়ান এবং দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট উভয়ের দ্বারা ফাঁস হওয়া জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার নথি উন্মোচিত হওয়ার পর অ্যাপলের উপর আরেকটি দ্বিধা তৈরি হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। নথিগুলোতে বলা হয়েছে যে অ্যাপল আমেরিকান কোম্পানিগুলোর তালিকায় রয়েছে যারা অভিযোগ করে যে PRISM-এর সাথে সহযোগিতা করে। এটি সরকারকে গোপনে আমেরিকান কোম্পানিগুলোর দ্বারা হোস্ট করা অ-আমেরিকান নাগরিকদের ডেটা প্রাপ্যতা করার সুযোগ দেয় কোনও ওয়ারেন্ট ছাড়াই। সরকারি কর্মকর্তারা এই প্রোগ্রামের অস্তিত্ব স্বীকার করেছেন। এটি থেকে বোঝা যায় যে "এনএসএ-র ওই কোম্পানিগুলোর সার্ভারগুলোতে সরাসরি প্রবেশাধিকার রয়েছে, এবং ফাঁসের আগের বছরগুলোতে প্রোগ্রামের মাধ্যমে সংগৃহীত তথ্যের পরিমাণ দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছিল" (স্যাভেজ, ২০১৩)। অ্যাপল এই প্রোগ্রাম সম্পর্কে কোনও জ্ঞান থাকার কথা অস্বীকার করেছে।
অ্যাপল এখনও iOS নিরাপদ বলে দাবি করে। তবে iOS নিরাপত্তা সংক্রান্ত সাম্প্রতিক কেলেঙ্কারির পর অনেক ব্যবহারকারী ভিন্ন মত পোষণ করবেন। ২০১৫ সালের ২০ সেপ্টেম্বরের দিকে চিহ্নিত সর্বশেষ নিরাপত্তা সংক্রান্ত দুর্নীতির ঘটনাগুলো হলো, চীনে অবস্থিত কিছু ডেভেলপার iOS অ্যাপ স্টোরের জন্য অ্যাপ তৈরি করতে ভুল প্রোগ্রাম ব্যবহার করেছেন।<ref>http://www.macworld.co.uk/feature/iosapps/is-ipad-iphone-ios-safe-xcodeghost-what-security-software-need-3453938/</ref> ধারণা করা হচ্ছে যে ডেভেলপাররা Xcode-এর একটি নকল সংস্করণ ডাউনলোড করেছেন। কারণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে হোস্ট করা অ্যাপলের নিজস্ব সার্ভার থেকে ডাউনলোড করতে অনেক সময় লাগছিল। Xcode-এর মোট আকার প্রায় ৩.৯ গিগাবাইট। চীনা ডেভেলপাররা অ্যাপলের নিজস্ব Xcode-এর পরিবর্তে XcodeGhost ব্যবহার করছিলেন। প্রভাবিত অ্যাপগুলো চীনা হলেও সেগুলোর মধ্যে অ্যাংরি বার্ডস ২-এর মতো কয়েকটি জনপ্রিয় অ্যাপ ছিল। যদিও রোভিও নিশ্চিত করেছে যে অ্যাংরি বার্ডস ২-এর শুধুমাত্র চীনা অ্যাপ স্টোর সংস্করণটি ঝুঁকিপূর্ণ।9to5Mac অনুসারে, শীঘ্রই এর সমাধান আসছে। কিন্তু সাম্প্রতিক নিরাপত্তার কৃতিত্বের পাশাপাশি, ২০১৪ সালটি এমন একটি বছর হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে যেখানে IOS-এর নিরাপত্তা দুর্বলতা সর্বকালের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে বেশ কয়েকটি নিরাপত্তা ত্রুটি চিহ্নিত করা হয়েছিল। এর ফলে যদি ব্যবহারকারী একটি অরক্ষিত হটস্পট ব্যবহার করেন, সম্ভবত একটি ইন্টারনেট ক্যাফেতে একজন আক্রমণকারীর পক্ষে ব্যবহারকারীর ডেটা আটকানো সম্ভব হয়েছিল ।
'''সংখ্যা অনুসারে আইওএস'''
অ্যান্ড্রয়েডের পরে iOS হলো বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বাধিক জনপ্রিয় মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আইপ্যাডের বিক্রি অ্যান্ড্রয়েডের চেয়েও পিছিয়ে। যদিও ওয়েব ব্যবহারের (সকল ব্যবহারের জন্য একটি প্রক্সি) দিক থেকে আইপ্যাড (আইওএস ব্যবহার করে) এখনও সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়। ২০১২ সালের মাঝামাঝি সময়ে ৪১ কোটি ডিভাইস সক্রিয় করা হয়েছিল। WWDC ২০১৪-তে, টিম কুক বলেছিলেন, ২০১৪ সালের জুন নাগাদ ৮০০ মিলিয়ন ডিভাইস বিক্রি হয়েছে। ২৭ জানুয়ারি, ২০১৫ তারিখে অ্যাপলের ত্রৈমাসিক আয়ের আহ্বানের সময়, অ্যাপল ঘোষণা করে যে ২০০৭ সাল থেকে তারা এখন এক বিলিয়ন iOS ডিভাইস বিক্রি করেছে (শুধুমাত্র ২০১৪ সালে বিক্রি হওয়া অ্যান্ড্রয়েডের তুলনায় একটু কম)। ১৬ জানুয়ারি, ২০০৯ তারিখে, অ্যাপল তার ওয়েবসাইটে ঘোষণা করে যে ৫০ কোটি অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড করা হয়েছে। বিলিয়নতম অ্যাপ্লিকেশনটি ২৩শে এপ্রিল, ২০০৯ তারিখে ডাউনলোড করা হয়েছিল। ৩ মার্চ, ২০১২ তারিখে, ডাউনলোড করা অ্যাপের সংখ্যা ২৫ বিলিয়নে পৌঁছেছে। ৮ জুন, ২০১৫ তারিখে, অ্যাপল ঘোষণা করে যে অ্যাপ স্টোর ১০০ বিলিয়ন ডাউনলোড অতিক্রম করেছে।
ডিসেম্বর ২০১৪-এর সবচেয়ে বেশি ডাউনলোড হওয়া আইফোন এবং আইপ্যাড অ্যাপগুলোর তালিকা এখানে দেওয়া হলো: (পেইড/ ফ্রি)
# ক্ল্যাশ অফ ক্ল্যানস / অ্যাংরি বার্ডস ২
# মাইনক্রাফট / স্ন্যাপচ্যাট
# আফটারলাইট / ইউটিউব
# প্লেগ ইনকর্পোরেটেড / ফেসবুক
# স্লিপ সাইকেল অ্যালার্ম ক্লক / ইনস্টাগ্রাম
# ফেসটিউন / প্যান্ডোরা রেডিও
# কাট দ্য রোপ ২ / গুগল ম্যাপস
# ব্লুনস টিডি ৫ / ফ্লিপগ্রাম
# একটি অন্ধকার ঘর / স্পটিফাই
# ৭ মিনিট ওয়ার্কআউট চ্যালেঞ্জ / ২০৪৮
=== ওয়েব ব্রাউজার ===
==== ভূমিকা ====
[[ওয়েব ব্রাউজার]] হলো এমন অ্যাপ্লিকেশন যা একসময় ব্যবহারকারীদের ইন্টারনেট প্রাপ্যতা এবং ব্যবহার করার সুযোগ দেওয়ার জন্য ব্যবহার করা হত। কিন্তু প্রযুক্তি যত উন্নত হচ্ছে, ততই আমরা ব্রাউজারটি খোলার জন্য আরও বেশি ব্যবহার খুঁজে পাচ্ছি। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, ব্যবহারকারী ইন্টারফেস এবং এক্সটেনশনের মতো সহজ বৈশিষ্ট্যগুলো গ্রাহকদের মধ্যে সিদ্ধান্ত প্রক্রিয়ার অংশ হয়ে উঠেছে যখন তারা কোন ওয়েব ব্রাউজার ব্যবহার করবেন তা সিদ্ধান্ত নেন।
প্রথম ওয়েব ব্রাউজারটি তৈরি করা হয়েছিল কেবল WorldWideWeb (পরবর্তীতে নামটি নেক্সাসে পরিবর্তিত হয়)। [[টিম বার্নার্স-লি|স্যার টিম বার্নার্স-লি]] ১৯৯০ সালে এটি তৈরি করেন। সময়ের সাথে সাথে এবং প্রযুক্তির উন্নতির সাথে সাথে, সহজেই প্রাপ্যতাযোগ্য ব্রাউজারের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়, যার কিছুক্ষণ পরেই ১৯৯২ সালে Erwise মুক্তি পায় এবং এটি গ্রাফিক্যাল ইউজার ইন্টারফেস সহ প্রথম সাধারণভাবে প্রাপ্যতাযোগ্য ব্রাউজার ছিল। তবে ১৯৯৩ সালে [[মোজাইক (ব্রাউজার)|মোজাইক]] মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই জনসাধারণের কাছে একটি সহজে অতিক্রমযোগ্য লেআউট উপস্থাপন করা হয়েছিল, যেখানে এটি ব্যবহারকারী সকলের জন্য আরও সুগম ব্যবহারকারী ইন্টারফেসের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করা হয়েছিল। মোজাইকে বাস্তবায়িত অনেক বৈশিষ্ট্য এখনও বর্তমান জনপ্রিয় ব্রাউজারগুলোতে বিদ্যমান, যেমন উপরে একটি URL বার এবং পিছনে/ফরোয়ার্ড বোতাম।
বর্তমানে, বাজারে পাঁচটি ব্রাউজার আধিপত্য বিস্তার করছে; [[ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার]], [[মোজিলা ফায়ারফক্স|ফায়ারফক্স]], [[গুগল ক্রোম|গুগল ক্রোম,]] [[সাফারি (ওয়েব ব্রাউজার)|সাফারি]] এবং [[অপেরা (ওয়েব ব্রাউজার)|অপেরা]] । এই পাঁচটি ব্রাউজারে বেশিরভাগই কিছুটা উন্মুক্ত উৎসের। সোর্স কোডের কিছু দিক সকলের জন্য প্রাপ্যতাযোগ্য। এর একমাত্র ব্যতিক্রম ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার। এটি ১৯৯৫ সালে প্রকাশের পর থেকে সম্পূর্ণ মালিকানাধীন।
==== ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের আধিপত্য এবং পতন ====
ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার প্রথম আত্মপ্রকাশ করে ১৯৯৫ সালে যা [[মাইক্রোসফট কর্পোরেশন|মাইক্রোসফট]] দ্বারা উইন্ডোজ ৯৫ অ্যাড-অন প্যাকেজের অংশ হিসেবে তৈরি করা হয়েছিল এবং লঞ্চের সময় এটি অত্যন্ত সফল হয়েছিল। ২০০০-এর দশকের গোড়ার দিকে, ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার বাজারের বেশিরভাগ অংশ দখল করে রেখেছিল, ২০০৩ সালে ৯৫%-এ পৌঁছেছিল। তবে অন্যান্য জনপ্রিয় ওয়েব ব্রাউজারগুলোর উত্থানের সাথে সাথে, বাজারে ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের আধিপত্য এখন প্রায় হাস্যকর বলে মনে হচ্ছে, ব্রাউজারটি অনেক ইন্টারনেট রসিকতার মূল বিষয়। যদিও এটি শীর্ষ পাঁচটি সর্বাধিক ব্যবহৃত ব্রাউজারের মধ্যে রয়ে গেছে, তবুও এর জনপ্রিয়তা এবং খ্যাতি এখনও ক্ষতিগ্রস্ত এবং ক্রমাগত হ্রাস পাচ্ছে এমন ব্যবহারের পরিসংখ্যান তা প্রতিফলিত করে। <ref>http://gs.statcounter.com/#all-browser-ww-monthly-200812-201602</ref>
ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের ইতিহাসে এমন অনেক বিষয় রয়েছে যা মানুষ এর জনপ্রিয়তা হ্রাসের কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছে, যার মধ্যে কিছু বিষয় এই সত্যকে প্রতিফলিত করে যে IE প্রকৃতিগতভাবে সম্পূর্ণ মালিকানাধীন। প্রথমত, ২০০১ সালে ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের ষষ্ঠ প্রধান সংস্করণ, IE6- এর মুক্তিকে এই মুহূর্তগুলোর মধ্যে একটি বলে মনে করা হয়। [[ম্যালওয়্যার]] এবং অন্যান্য নিরাপত্তা লঙ্ঘনের বৃহৎ সমস্যা দেখা দেওয়ার সাথে সাথে, বিশেষজ্ঞরা ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার ব্যবহারকারীদের অন্যান্য নির্ভরযোগ্য ব্রাউজারে স্যুইচ করার পরামর্শ দিতে শুরু করেছেন। <ref>https://www.schneier.com/blog/archives/2004/12/safe_personal_c.html</ref> ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের একটি সাধারণ অভিযোগ হলো এই ধরণের সমস্যা আবিষ্কার করা এবং সমস্যাটি সমাধানের জন্য একটি প্যাচ প্রকাশ করার মধ্যে সময় লাগে। এটি প্রায়ই এর মালিকানাধীন প্রকৃতির কারণে হয়। এই ধরনের সমস্যা সমাধানের জন্য একটি নিবেদিতপ্রাণ দল থাকার অর্থ হলো, যখন কোনও পরিচিত সমস্যা দেখা দেয় তখন সহায়তা পাওয়া সহজ হয়, তবে নিরাপত্তার বিষয়গুলোর সমাধান খুঁজে বের করার ক্ষেত্রে, উন্মুক্ত উৎসের উপাদানগুলো প্রায়ই সম্প্রদায়গুলোকে দ্রুত সমাধান খুঁজে বের করার জন্য বিনিয়োগ করে এবং তাই তারা একটি পৃথক দলের চেয়ে দ্রুত সমাধান তৈরি এবং প্রকাশ করতে পারে।
ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের পতনের কথা বলার সময় আরেকটি আকর্ষণীয় বিবেচ্য বিষয় হলো হার্ডওয়্যার IE এর সাথে সম্পর্কিত। ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার প্রায়ই মাইক্রোসফট পণ্যের সাথে প্যাকেজ করা হয়, বিশেষ করে উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম এবং এক্সবক্স ৩৬০। তবে যখন ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার প্রাধান্য পেয়েছিল, তখন এটি আরও অনেক ডিভাইসে প্রাপ্যতাযোগ্য ছিল, বিশেষ করে [[ম্যাকিন্টশ|ম্যাকিনটোশ কম্পিউটারে]] । ম্যাকিনটোশ ব্যবহারকারীদের মধ্যে জনপ্রিয় হওয়া সত্ত্বেও, মাইক্রোসফট ঘোষণা করে যে তারা ২০০৫ সালে ম্যাকিনটোশ কম্পিউটারে ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের ডেভেলপমেন্ট বন্ধ করার পরিকল্পনা করছে। যেহেতু IE একটি মালিকানাধীন ব্রাউজার, তাই এটি ডেভেলপমেন্টের দৃষ্টিকোণ থেকে অনেক অর্থবহ। এটি উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের ডেভেলপমেন্টের উপর আরও বেশি মনোযোগ দেওয়ার সুযোগ করে দেয়। তবে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্নতার ফলে বাজারের একটি বৃহৎ অংশ সম্পূর্ণরূপে প্রাপ্যতাযোগ্য হয়ে ওঠে না, এমন একটি সমস্যা যা সফটওয়্যারটি উন্মুক্ত উৎসের হলে বিদ্যমান থাকত না। এই কোড ব্যবহারের মাধ্যমে, ম্যাকিনটোশ ব্যবহারকারীরা নিজেরাই সফটওয়্যারটি আপডেট করতে পারবেন এবং তাদের পছন্দের কম্পিউটারে চালানোর জন্য ব্রাউজারগুলো আপডেট করার পদ্ধতিগুলো বের করতে পারবেন। এই বিশেষ উদাহরণে, মনে হচ্ছে একটি উন্মুক্ত উৎসের ব্রাউজার থাকা বৃহত্তর দর্শকদের কাছে পৌঁছানোর ক্ষেত্রে আরও উপকারী।
==== ফায়ারফক্সের আধিপত্য এবং পতন ====
২০০৪ সালের শেষের দিকে, [[মোজিলা|মজিলা]] ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে মজিলা ফায়ারফক্স প্রকাশ করে। এটি সম্পূর্ণরূপে উন্মুক্ত উৎসের ওয়েব ব্রাউজার। এটি এর গতি, নিরাপত্তা এবং ব্রাউজার এক্সটেনশনের মতো নতুন বৈশিষ্ট্যগুলোর জন্য ব্যাপক প্রশংসা লাভ করে, যাকে অ্যাড-অনও বলা হয়। অধিকন্তু, উন্মুক্ত উৎসের ইন নেচার হওয়ায় ফায়ারফক্স ব্যবহারকারীদের ইন্টারনেটের সাথে কীভাবে যোগাযোগ করা যায় সে সম্পর্কে আরও স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছিল। এটি মজিলা ম্যানিফেস্টোর দ্বিতীয় দাবি "ইন্টারনেট একটি বিশ্বব্যাপী পাবলিক রিসোর্স যা উন্মুক্ত এবং প্রাপ্যতাযোগ্য থাকা উচিত" দ্বারা সবচেয়ে ভালোভাবে অনুমান করা হয়েছে। <ref>https://www.mozilla.org/en-GB/about/manifesto/</ref>
একটি উন্মুক্ত উৎসের ব্রাউজার হিসেবে, ফায়ারফক্স তৃতীয় পক্ষের ডেভেলপমেন্ট থেকে উপকৃত হয়, বিশেষ করে অ্যাড-অনগুলোর মাধ্যমে যা ব্যবহারকারীদের ব্রাউজারটি কীভাবে কাজ করে তা নিয়ন্ত্রণ করতে দেয়। ফায়ারফক্সের কোড সকলের জন্য উপলব্ধ হওয়ার সাথে সাথে, গ্রাহকদের তাদের ব্রাউজিং অভিজ্ঞতায় ইচ্ছামত বৈশিষ্ট্য যোগ করার জন্য এক্সটেনশন তৈরি করার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল, যেমন অ্যাডব্লকের মতো এক্সটেনশন ব্যবহার করে অবাঞ্ছিত বিজ্ঞাপন অপসারণ করা। আরও সুন্দরভাবে, ফায়ারফক্স কাস্টম ব্যবহারকারী থিমগুলোকেও সমর্থন করেছিল। এটি ব্যবহারকারীদের ব্রাউজারের চেহারা এবং রঙের স্কিম পরিবর্তন করার সুযোগ দেয়। এটি আরও উপযুক্ত ব্রাউজিং অভিজ্ঞতা তৈরি করে। নিরাপত্তা সমস্যার সমাধান দ্রুত খুঁজে পাওয়া যায় এবং উন্মুক্ত উৎসের প্রোগ্রামগুলো আরও সুরক্ষিত হওয়ার সাথে সাথে, ফায়ারফক্স তাৎক্ষণিকভাবে জনপ্রিয়তা অর্জন করে, বিশেষ করে তার প্রধান প্রতিযোগী ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার ৬-এর তুলনায়।
তবে ফায়ারফক্সের পরিষেবা হিসেবে একটি প্রধান সমস্যা হলো আপডেট এবং এর মধ্যে থাকা বিষয়বস্তুর ক্ষেত্রে এর নির্ভরযোগ্যতা। ফায়ারফক্সের অনেক আপডেটই ছোটখাটো প্রকৃতির এবং সম্প্রদায়-ভিত্তিক হওয়ায়, গ্রাহকদের আগ্রহের জন্য খুব কমই নতুন, বৃহৎ পরিসরের বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এর ফলে ফায়ারফক্স ব্যবহারকারীদের একটি নিবেদিতপ্রাণ সম্প্রদায় তৈরি হয়। কিন্তু নতুন ব্যবহারকারীর সংখ্যা কম হয়। যদিও ফায়ারফক্সের স্থিতিশীলতা ধারাবাহিকভাবে ভালো রয়ে গেছে, ছোটখাটো সম্প্রদায়-চালিত বাগ সংশোধনের বাইরে প্রভাবশালী উন্নতির অভাবের ফলে এর ব্যবহারের পরিসংখ্যান কিছুটা স্থবির হয়ে পড়েছে। <ref>http://www.digitaltrends.com/computing/internet-explorer-chrome-and-firefox-market-share-for-october/</ref>
==== গুগল ক্রোমের উত্থান ====
২০০৮ সালে গুগল তাদের নিজস্ব ওয়েব ব্রাউজার, গুগল ক্রোম দিয়ে ব্রাউজার যুদ্ধে প্রবেশ করে। মুক্তি পাওয়ার পর থেকে, ক্রোমের জনপ্রিয়তা কেবল বৃদ্ধি পেয়েছে, বর্তমানে এটি বাজারে আধিপত্য বিস্তার করেছে এবং ফেব্রুয়ারি ২০১৬ পর্যন্ত মোট ব্যবহারের ৪৭.৭৭% ব্যবহার রয়েছে। গুগল ক্রোম একটি ফ্রিওয়্যার, যার অর্থ এর কিছু উপাদান রয়েছে যা প্রকৃতিগতভাবে মালিকানাধীন, তবে এর বেশিরভাগ কোডই ওপেন সোর্স। এর জনপ্রিয়তার পেছনে অনেক বৈশিষ্ট্য রয়েছে, এর সহজলভ্য, ন্যূনতম ইন্টারফেস এবং গতি মাত্র কয়েকটি।
উন্মুক্ত উৎসের হওয়ায় ফায়ারফক্সের মতোই ক্রোম উপকৃত হয়েছে, ঘন ঘন আপডেট, থিম এবং ব্রাউজার এক্সটেনশনের মতো বৈশিষ্ট্যগুলো ক্রোম ব্যবহারকারীদের জন্য উপলব্ধ। যদিও ফায়ারফক্সের উন্মুক্ত উৎসের প্রকৃতি এটিকে প্রাথমিকভাবে জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি করেছিল, একই রকম বৈশিষ্ট্য এবং সুপরিচিত আইটি কোম্পানি গুগলের সাথে সংযোগ ক্রোমকে তার আধিপত্য প্রতিষ্ঠার জন্য প্রয়োজনীয় রিলিজের সময় তা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করেছিল। [[ক্রোমিয়াম (ওয়েব ব্রাউজার)|ক্রোমিয়াম]] ক্রোমের সোর্স কোডে সহজে প্রাপ্যতাের সুযোগ করে দেওয়ার ফলে, ইচ্ছুকদের আউটসোর্সিং করে ক্রোমের জন্য লিনাক্স এবং ম্যাক ওএস এক্স পোর্টের কিছু ডেভেলপমেন্ট কাজ সহজ করা হয়েছে। <ref>http://arstechnica.com/information-technology/2008/09/google-unveils-chrome-source-code-and-linux-port/</ref> এর ফলে গুগলকে ইউজার ইন্টারফেস উন্নত করার এবং ব্রাউজারের আরও ভালো বিজ্ঞাপন দেওয়ার মতো বৈশিষ্ট্যগুলোতে মনোনিবেশ করার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছিল, এই সুযোগটি কাজে লাগিয়ে যে সার্চ ইঞ্জিন গুগল তাদের ব্রাউজার প্রচারের জন্য একটি সাধারণভাবে ব্যবহৃত পরিষেবা ছিল। তাদের কোডের ওপেন সোর্সিংয়ের মাধ্যমে ঘন ঘন আপডেটের সুযোগ দেওয়া হয় এবং নির্ভরযোগ্য এবং দ্রুত পরিষেবা পাওয়া যায়, তাই গুগল ক্রোম কেন জনপ্রিয়তার দিক থেকে এগিয়ে চলেছে তা স্পষ্ট।
'''http://www.telegraph.co.uk/technology/news/9163335/Whats-behind-the-rise-of-Google-Chrome.html'''
== উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যার কী? ==
উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যার (OSS) হলো গ্নু এবং Linux এর মতো প্রোগ্রাম যা প্রোগ্রামারদের নির্দিষ্ট সফটওয়্যার সম্পাদনা এবং উন্নত করার জন্য সোর্স কোড পরিবর্তন করতে দেয়। মুইর তার উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যার বইয়ে OSS কে "প্রকৃত সোর্স কোডে প্রাপ্যতা" হিসেবে সংজ্ঞায়িত করেছেন। এটি প্রায়ই গ্নু পাবলিক লাইসেন্সের অধীনে পাওয়া যায়। এটি প্রোগ্রামারদের সফটওয়্যার পরিবর্তন করতে এবং এটি পুনরায় বিতরণ করতে দেয়, এই প্রয়োজনে যে তারা এই পরিবর্তনগুলো অন্যান্য ডেভেলপারদের কাছে উপলব্ধ করে।" <ref>Muir, Scott P, and Leggott, Mark, eds. Open Source Software. Bradford, GBR: Emerald Group Publishing Ltd, 2005. ProQuest ebrary. Web. 5 March 2016</ref> এটিকে বিনামূল্যের সফটওয়্যার হিসাবেও পরিচিত করা যেতে পারে তবে আমি এই বাক্যাংশটি থেকে দূরে থাকব কারণ এটি 'মুক্ত বাকস্বাধীনতা'র পরিবর্তে 'মুক্ত জিনিস' ধারণার মতো বিনামূল্যের কথা উল্লেখ করে।
=== ওএসএসের ইতিহাস ===
ধারণা করা হয় যে UNIVAC ('ইউনিভার্সাল অটোমেটিক কম্পিউটার'-এর সংক্ষিপ্ত রূপ) প্রথম উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যার, 'A-2 সিস্টেম' তৈরি করেছিল। এটি ১৯৫৩ সালে তৈরি করা হয়েছিল এবং সেই বছরের শেষ নাগাদ বিতরণ করা হয়েছিল। পণ্যটিতে সোর্স কোডও অন্তর্ভুক্ত ছিল যা ব্যবহারকারীদের প্রদান করা হয়েছিল যাতে তারা (যদি তারা ইচ্ছা করে) পণ্যের উন্নত সংস্করণগুলো UNIVAC-তে ফেরত পাঠাতে পারে <ref>Peter Cohan. (2009). Back to the 1970s: IBM in mainframe antitrust suit again. Retrieved march/3rd, 2016, from http://www.dailyfinance.com/2009/10/09/back-to-the-1970s-ibm-in-mainframe-antitrust-suit-again/</ref> ১৯৬০-এর দশকের আগের যুগে এটা বলা নিরাপদ ছিল যে বেশিরভাগ প্রোগ্রাম বিনামূল্যে ছিল। তবে এগুলো বিনামূল্যে ছিল না কারণ সফটওয়্যার ডেভেলপাররা গ্রাহকদের বাগ ঠিক করতে এবং পণ্যের উন্নতি ফেরত পাঠাতে সাহায্য করার ধারণাটি পছন্দ করেছিলেন যাতে পণ্যটি আরও ভালোভাবে তৈরি করা যায় (যদিও ইউনিভ্যাকের A-2 সিস্টেমটি এর দ্বারা চালিত হয়েছিল) কিন্তু কারণ সেই সময়ে প্রযুক্তি ছিল ভীতিকর এবং খুবই ভয়ঙ্কর। এর আংশিক কারণ ছিল সেই সময়ে সায়েন্স ফিকশন সিনেমার প্রযোজনাগুলোকে ভৌতিক হিসেবে দেখা হত। মানুষের মনে একটা বিরাট ভয় ছিল,যদি কোম্পানিগুলো তাদের কাজের ব্যাপারে স্বচ্ছ না হয়, তাহলে মানুষ পেছনের দরজা দিয়ে বেরিয়ে যাবে, ফলে হ্যাক করা সহজ হবে।
সময়ের সাথে সাথে প্রযুক্তি অনেক উন্নত হতে শুরু করে, এর ফলে প্রতিযোগীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পায় এবং দামও বৃদ্ধি পায়। তবে প্রতিযোগীদের সংখ্যা বৃদ্ধির অর্থ হলো নোংরা কৌশলের প্রবর্তন। এই বাজারটি একসময় একটি অলিগোপলি ছিল এবং আইবিএমের মতো কোম্পানিগুলো এটিকে এভাবেই রাখতে চাইত। ১৯৬৯ সালে কম্পিউটার বাজারের এই বৃহৎ খেলোয়াড়টির বিরুদ্ধে প্রতিযোগিতামূলক মূল্য নির্ধারণের জন্য একটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। <ref>Hopper, Grace. "Keynote Address". Proceedings of the ACM SIGPLAN History of Programming Languages (HOPL) conference</ref>
=== ওএসএস-এর সমালোচনা ===
সময়ের সাথে সাথে OSS মালিকানাধীন সফটওয়্যারের চেয়ে বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এর মূল কারণ হলো এটি বিনামূল্যে, যেখানে মালিকানাধীন সফটওয়্যারের জন্য মানুষকে অর্থ প্রদান করতে হয়। তবে এটি একটি অলাভজনক সম্প্রদায় দ্বারা তৈরি হওয়ায় এর বেশ কিছু অসুবিধা রয়েছে। মালিকানাধীন সফটওয়্যারের তুলনায় OSS ব্যবহারের অনেক সুবিধা রয়েছে। ব্যবসার জন্য প্রধান সুবিধা হলো উন্মুক্ত উৎসের হলো বাজারে প্রবেশের ক্ষেত্রে ব্যবসার জন্য আরও বেশি সাফল্য অর্জনের একটি ভালো উপায়। যখন কোনও কোম্পানি OSS ব্যবহারের পরিকল্পনা করে, তখন তারা এমন পণ্য প্রতিষ্ঠা করতে পারে যা নির্ভরযোগ্য, উচ্চমানের এবং শিল্পের মানদণ্ডের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ, যার অর্থ তারা প্রতিদ্বন্দ্বী কোম্পানিগুলোর উপর এগিয়ে থাকতে পারে। এটিকে আরও নির্ভরযোগ্য বলে মনে করা হয় কারণ এতে অনেক স্বাধীন প্রোগ্রামার (যেমন লিনাক্স) সহযোগিতা করতে পারে এবং সাধারণ প্রকাশের আগে এর বাগ এবং সমস্যাগুলো খুঁজে বের করতে পারে। রেনল্ডস, <ref>Carl; Jeremy Wyatt (February 2011). "Open Source, Open Standards, and Health Care Information Systems". JMIR 13. doi:10.2196/jmir.1521</ref> OSS এর আরেকটি সুবিধা এবং অনেক নতুন প্রযুক্তি সংস্থা এটি ব্যবহারের অন্যতম কারণ হলো এটি সস্তা এবং ব্যবহার করা সহজ। মালিকানাধীন সফটওয়্যারের বিপরীতে যেখানে ব্যয়বহুল গবেষণা এবং উন্নয়ন করতে হয়।
OSS ব্যবহারের ফলে একটি কোম্পানি তাদের ব্যবহৃত প্রযুক্তির সাথে আরও নমনীয় হতে পারে। এর ফলে একটি ব্যবসা বাজারে দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানাতে পারে এবং দ্রুত উদ্ভাবন অর্জন করতে পারে। এটি একটি ক্রমাগত অগ্রগতিশীল প্রযুক্তিগত বিশ্বে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। OSS কৌশল ব্যবহারের মাধ্যমে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান অ্যাপল এবং মাইক্রোসফটের মতো বৃহৎ কোম্পানির বিরুদ্ধে সুযোগ পায় কারণ এটি সস্তা। <ref>Sharma, Srinarayan; Vijayan Sugumaran; Balaji Rajagopalan (2002). "A framework for creating hybrid-open source software communities"</ref> OSS-এর আরেকটি সুবিধা হলো, সফটওয়্যারের ডেভেলপাররা তাদের নিজস্ব সফটওয়্যারের মতো ক্ষমতায়িত বোধ করবে, যার অর্থ তারা আরও ভালোভাবে তৈরি পণ্য তৈরি করবে কারণ একজন কর্মী তাদের নিজস্ব তৈরিতে কাজ করার জন্য আরও বেশি অনুপ্রাণিত বোধ করবে। এই মালিকানার বোধের কারণে পণ্য এবং কোম্পানির প্রতি আনুগত্য তৈরি হয়। OSS ব্যবহারকারীদের যদি দক্ষ এবং কম্পিউটারে দক্ষ হন, তাহলে বিরক্তিকর বাগ ঠিক করার জন্য পরবর্তী প্যাচের জন্য অপেক্ষা করতে হবে না।
সামগ্রিকভাবে, OSS ব্যবহার আপনার ব্র্যান্ড এবং এর অর্থ কী তা সংজ্ঞায়িত করতে সাহায্য করে। OSS কে ব্র্যান্ডগুলোর জন্য একটি ইতিবাচক ভাবমূর্তি হিসেবে দেখা হয় কারণ এটি ভেন্ডর লক-ইন (যা মালিকানাধীন লক-ইন নামেও পরিচিত) বা প্যাচের জন্য চার্জিংয়ের ধারণার বিরুদ্ধে দাঁড়ায়। যেসব কোম্পানি OSS ব্যবহার করে তারা সাধারণত ব্যবসায়িক পরিভাষা 'কাইজেন' (ক্রমাগত উন্নতি) তে বিশ্বাস করে, যার অর্থ তারা সর্বদা তাদের মূল্যবান গ্রাহকের কাছে আরও ভালো পণ্য সরবরাহ করতে চায়। এটি এই ধারণার প্রতিনিধিত্ব করে যে প্রযুক্তি মুক্ত হওয়া উচিত। আমাদের সবসময় প্রিমিয়াম মূল্য পরিশোধ করতে হবে না।
বেশিরভাগ জিনিসের মতো অনেক দুর্দান্ত সুবিধার সাথে সাথে কিছু অসুবিধাও থাকতে হবে এবং OSSও এর থেকে আলাদা নয়। গ্রাহকদের চাহিদা শোনার জন্য ডেভেলপারদের উপর বাণিজ্যিক চাপের অভাব রয়েছে। এর অর্থ হলো তারা এমন সফটওয়্যার তৈরি করবে যা গ্রাহকদের চেয়ে তাদের চাহিদা অনুসারে তৈরি করা হবে। পণ্যের গুণমান এতে কাজ করা প্রোগ্রামারদের ধরণের দ্বারাও প্রভাবিত হতে পারে। কারণ OSS-এর সাফল্য অনেকটাই দলীয় কাজের উপর নির্ভর করে। সফটওয়্যারটিতে কাজ করা কিছু প্রোগ্রামারের বিভিন্ন লক্ষ্য থাকতে পারে, সফটওয়্যার সম্পর্কে ধারণা থাকতে পারে যা একে অপরের সাথে সাংঘর্ষিক হতে পারে। ইজেল এবং সোর্সএক্সচেঞ্জের মতো বেশ কয়েকটি ওএসএস প্রকল্পে এটি ঘটেছে। <ref>Sharma, Srinarayan; Vijayan Sugumaran; Balaji Rajagopalan (2002). "A framework for creating hybrid-open source software communities"</ref> বড় কোম্পানিগুলো উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যার ব্যবহার না করার একটি প্রধান কারণ হলো নিরাপত্তা ঝুঁকি। সোর্স কোড দেখানো হলে নিরাপত্তার দুর্বলতা দেখা যাবে যা ত্রুটি খুঁজে বের করা সহজ করে তুলতে পারে। বৃহৎ পরিসরে OSS প্রকল্পের ক্ষেত্রে এটি তেমন একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়, তবে একক ব্যক্তির প্রকল্পের ক্ষেত্রে বড় ধরনের নিরাপত্তা ঝুঁকি থাকতে পারে।
উন্মুক্ত উৎসের ব্যবহারের ফলে একই ধরণের জিনিসের ক্লোন তৈরি হয়। এর একটি ভালো উদাহরণ হলো মোবাইল গেম ফ্ল্যাপি বার্ড। যখন এটি সফল হয়, তখন আমরা অ্যান্ড্রয়েডে অনেক অনুরূপ কপি দেখতে পাই। যেখানে ক্লোজড সোর্স সফটওয়্যারের তাদের সফটওয়্যারে কী লাগানো হবে তার উপর বেশি নিয়ন্ত্রণ থাকে <ref>Joab Jackson. Open source vs. proprietary software. Retrieved March/4th, 2016, from http://www.pcworld.com/article/243136/open_source_vs_proprietary_software.html</ref> এর ফলে অনেক OSS প্রকল্প ক্লোন করা হয়। এর ফলে গ্রাহক নিম্নমানের সফটওয়্যারের চাপে পড়ে যান এবং ভালো সফটওয়্যার থেকে বঞ্চিত হন।
ডেভেলপাররা এতে যোগ এবং পরিবর্তন করার সাথে সাথে OSS বাস্তব সময়ে বিকশিত হতে থাকে, যার অর্থ এটি আরও উন্নত মানের হতে পারে। OSS এর সাথে সম্পর্কিত একটি সাধারণ ভুল ধারণা হলো যে এটি মালিকানাধীন সিস্টেমের তুলনায় বেশি নিরাপদ এবং ভাইরাসের ঝুঁকি কম কারণ এর বিপুল সংখ্যক ব্যবহারকারী রয়েছে যারা যেকোনো সমস্যা সমাধানের জন্য সেখানে উপস্থিত থাকে। যদিও এটি সত্য হতে পারে, তবে এটি অগত্যা এটিকে সহজাতভাবে নিরাপদ করে তোলে না। লোকেরা কোডটি দেখে। এর ফলে নিরাপত্তার দুর্বলতাগুলো সহজেই ধরা পড়ে। OSS নিরাপত্তার উপর একটি তদন্তে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে যে OSS কোডকে দৃশ্যমান করে তোলে, তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই, উৎস দৃশ্যমানতা একটি নির্দিষ্ট প্রকল্পের জন্য সৃষ্ট সামগ্রিক নিরাপত্তা ঝুঁকি বাড়াতে খুব কমই সাহায্য করে। নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা জানিয়েছেন,বেশিরভাগ পরিস্থিতিতে, উৎসের দৃশ্যমানতা প্রকল্পের স্থিতিশীলতা এবং নিরাপদ অবস্থার সম্মতিতেও সহায়তা করতে পারে।
<u>সফটওয়্যার</u> সবকিছুই একটি একক অপারেটিং সিস্টেম ইউনিক্স থেকে আসে, মূলত এটি IOS10 সহ ম্যাকের IOS সিস্টেমের ভিত্তি স্থাপন করে। এটি মূলত কোড লেখার পরিবর্তে একটি আগে থেকে তৈরি অপারেটিং সিস্টেম। যদিও এটি প্রায় প্রতিটি অপারেটিং সিস্টেমের ভিত্তি তৈরি করে, এটি খুবই 'বন্ধ'। কিন্তু এটি এই তত্ত্বের পরিপন্থী যে সবাই চায় সবকিছু উন্মুক্ত থাকুক এবং ভাগ করে নেওয়া হোক যাতে আপনি আপনার চাহিদা অনুযায়ী সফটওয়্যারটি সম্পাদনা এবং তৈরি করতে পারেন।
সহজ কথা হলো, সকলেই তাদের চাহিদা অনুযায়ী সফটওয়্যার সম্পাদনা এবং পরিচালনা করতে চায় না। এটা তাদের জন্য খুব জটিল হতে পারে অথবা তারা হয়তো আগ্রহী নাও হতে পারে। কিছু ব্যক্তি কেবল একটি সাধারণ কাজের জন্য কম্পিউটার ব্যবহার করতে চান এবং লগ ইন এবং CLU ব্যবহারের ঝামেলা মোকাবেলা করতে চান না। এই ক্ষেত্রে একটি GUI, গ্রাফিক্যাল ইউজার ইন্টারফেসই যথেষ্ট। এটি দ্রুত, সহজ এবং ব্যবহার করা সহজ। ব্যবহারকারী কী চায় তা আপনাকে বিবেচনা করতে হবে। তারা কি অফুরন্ত কোডিং চায় নাকি মেকানিক্স চায়, তবে কি এটা উন্মুক্ত নাকি বাণিজ্যিকীকরণ করা হবে?
== মালিকানাধীন সফটওয়্যার ==
=== ভূমিকা ===
মালিকানাধীন সফটওয়্যার হলো এমন সফটওয়্যার যা আইনত সম্পূর্ণরূপে এর স্রষ্টা বা স্রষ্টাদের মালিকানাধীন। সাধারণত, মালিকানাধীন সফটওয়্যারের সোর্স কোড দেখার ক্ষমতা এবং এর পরিবর্তনের উপর খুব কঠোর বিধিনিষেধ থাকে। এই সীমাবদ্ধতার কারণে, ব্যবহারকারীর প্রয়োজন অনুসারে প্রোগ্রামটি পরিবর্তন বা সংশোধন করার ক্ষমতা সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ। এই ধরণের সফটওয়্যার (যদিও কখনও কখনও বিনামূল্যে) সাধারণত শুধুমাত্র একটি ফি দিয়ে পাওয়া যায় এবং শুধুমাত্র লাইসেন্সপ্রাপ্ত কী হোল্ডাররা এর উদ্দেশ্যে সফটওয়্যারটি ব্যবহার করতে পারেন।
মালিকানাধীন সফটওয়্যার লাইসেন্স এবং লাইসেন্স চুক্তির মাধ্যমে ব্যবহৃত হয়। ডগলাস ই ফিলিপস তার "সফটওয়্যার লাইসেন্স উন্মোচিত" বইতে রূপরেখা দিয়েছেন : লাইসেন্স আইন কীভাবে সফটওয়্যার প্রাপ্যতা নিয়ন্ত্রণ করে", <ref>Phillips, DE 2009, Software License Unveiled : How Legislation by License Controls Software Access, Oxford University Press, USA, Cary, NC, USA. Available from: ProQuest ebrary. [6 March 2016].</ref> সমস্ত ব্যবহারকারী লাইসেন্স চুক্তি অনুসরণ করে এমন নির্দিষ্ট নির্দেশিকা।
এর মধ্যে রয়েছে:- "আপনি হয়তো ভেবেছেন যে আপনি কিছু কিনেছেন। কিন্তু আপনি তা করেননি। সফটওয়্যারটি লাইসেন্সপ্রাপ্ত, বিক্রি করা হয়নি।"
"আপনি এখন একটি সফটওয়্যার কোম্পানির সাথে একটি চুক্তির পক্ষ। লাইসেন্সটি আপনার এবং সফটওয়্যার প্রদানকারীর মধ্যে একটি আইনত বাধ্যতামূলক চুক্তি।"
"যদি এটি না বলে যে আপনি এটি করতে পারবেন, তাহলে আপনি পারবেন না। সফটওয়্যার প্রদানকারী আপনাকে সফটওয়্যারটি ব্যবহারের সুযোগ দেয়। কিন্তু আপনি এমন কিছু করতে পারবেন না যা লাইসেন্স স্পষ্টভাবে সুযোগ দেয় না। অবশ্যই, আপনাকে এমন কিছু করা থেকেও বিরত থাকতে হবে যা এটি স্পষ্টভাবে নিষিদ্ধ করে। উদাহরণস্বরূপ, আপনি একবারে একাধিক ব্যক্তিকে সফটওয়্যারটি ব্যবহার করতে দিতে পারবেন না; এটি পুনরায় বিক্রয় বা বিপরীত প্রকৌশলী করতে পারবেন; অথবা, যদি সফটওয়্যারটি একটি নির্দিষ্ট ধরণের শেষ ব্যবহারকারীর জন্য মনোনীত করা হয়, তাহলে সেই ধরণের শেষ ব্যবহারকারী না হয়ে এটি ব্যবহার করুন।"
"যদি আপনি এমন কিছু করেন যা এটি বলে না যে আপনি করতে পারবেন (অথবা বলে যে আপনি করতে পারবেন না), তাহলে আপনি সফটওয়্যারটি একেবারেই ব্যবহার করতে পারবেন না। সফটওয়্যারটি ব্যবহারের জন্য আপনার অনুমতি লাইসেন্স চুক্তির সমস্ত শর্তাবলী মেনে চলার উপর নির্ভরশীল, যার মধ্যে আপনার ব্যবহারকে সীমাবদ্ধ করে এমন সমস্ত শর্তাবলীও অন্তর্ভুক্ত। ফলস্বরূপ, যেকোনো শর্ত লঙ্ঘনের ফলে আপনার সমস্ত লাইসেন্স অধিকার নষ্ট হতে পারে এবং আপনি কেবল চুক্তি ভঙ্গকারীই নন, বরং কপিরাইট লঙ্ঘনকারীও হয়ে ওঠেন।"
"যদি সফটওয়্যার কোম্পানি কিছু করতে চায়, তাহলে তা করতে পারে। আপনি সফটওয়্যার প্রদানকারীকে সফটওয়্যারে পণ্য সক্রিয়করণ, পণ্য যাচাইকরণ এবং স্বয়ংক্রিয় আপডেট ফাংশন অন্তর্ভুক্ত করার জন্য নিঃশর্ত অনুমতি দেন। এই ফাংশনগুলো সফটওয়্যারে আপনার প্রাপ্যতাকে প্রভাবিত করতে পারে, এবং সম্ভাব্যভাবে আপনার কম্পিউটারে, এবং সফটওয়্যার এবং আপনার কম্পিউটার সম্পর্কে তথ্য সফটওয়্যার প্রদানকারীর কাছে প্রেরণ করতে পারে।"
"যদি সফটওয়্যারে কিছু ভুল হয়ে যায়, তাহলে তা ঠিক করার জন্য সফটওয়্যার কোম্পানির উপর নির্ভর করবেন না। আপনি সম্মত হন যে সফটওয়্যার সরবরাহকারী আপনাকে খুব কম বা কোনও ওয়ারেন্টি দেয় না এবং সফটওয়্যার ত্রুটির জন্য আপনার কাছে খুব কম বা কোনও দায়বদ্ধতা থাকবে না। আপনি আরও সম্মত হন যে সফটওয়্যার তৃতীয় পক্ষের অধিকার লঙ্ঘন করলে আপনার বিরুদ্ধে যে দাবি হতে পারে তার জন্য সফটওয়্যার সরবরাহকারী দায়ী থাকবে না।" (ফিলিপস, ২০০৯)
মুক্ত সফটওয়্যার আন্দোলন ১৯৮৩ সালে শুরু হয়েছিল। এর প্রবর্তনের পর একদল ব্যক্তি "মুক্ত সফটওয়্যার" শব্দটিকে উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যার (OSS) দ্বারা প্রতিস্থাপন করার পক্ষে মত প্রকাশ করেন। এটি কর্পোরেট জগতের ক্ষেত্রে আরও সুবিধাজনক। সফটওয়্যার ডেভেলপাররা তাদের সফটওয়্যারটি একটি উন্মুক্ত উৎসের লাইসেন্স কাঠামোর মধ্যে প্রকাশ করতে চাইতে পারেন যাতে যে কেউ একই সফটওয়্যারটি তৈরি করতে পারে অথবা এর অভ্যন্তরীণ কার্যকারিতা সম্পর্কে আরও ভালভাবে বুঝতে পারে। উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যারের সাহায্যে, যে কেউ এতে পরিবর্তন আনতে, নতুন অপারেটিং সিস্টেম এবং প্রসেসর আর্কিটেকচারে পোর্ট করতে সক্ষম। এটি এটিকে অন্যদের সাথে ভাগ করে নেওয়ার বা কিছু ক্ষেত্রে বাজারজাত করার সুযোগ দেয়।
=== উদাহরণ ===
প্রোপ্রাইটি সফটওয়্যারের সবচেয়ে বেশি ব্যবহারকারীদের মধ্যে একটি হলো [https://www.microsoft.com/en-gb মাইক্রোসফট কর্পোরেশন] । [[উইন্ডোজ এক্সপি]] এবং [[উইন্ডোজ ৮|উইন্ডোজ ৮ এর]] মতো অপারেটিং সিস্টেম থেকে শুরু করে বিশ্বব্যাপী প্রভাবশালী [[মাইক্রোসফট অফিস]] প্রোগ্রাম পর্যন্ত প্রতিটি সফটওয়্যারই সুরক্ষার যথাযথ ব্যবস্থা ব্যবহার করে। মালিকানাধীন প্রোগ্রামগুলোর আরও উদাহরণগুলোর মধ্যে রয়েছে; [http://www.adobe.com/ অ্যাডোবি ফ্ল্যাশ প্লেয়ার], [[আইটিউন্স|আইটিউনস]] এবং [[ম্যাকওএস|ম্যাক ওএস এক্স]] ।
=== সুবিধা ===
মালিকানাধীন সফটওয়্যার ব্যবহারের সুবিধা এবং অসুবিধা উভয়ই রয়েছে। উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যার সিস্টেমের পরিবর্তে মালিকানাধীন সফটওয়্যার সিস্টেম ব্যবহারের সুবিধা হলো যে পণ্যটি ব্যবহার করার সময় আপনার যে কোনও সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে তার জন্য অনেক বেশি নিবেদিতপ্রাণ সহায়তা রয়েছে। যেহেতু মালিকানাধীন সফটওয়্যারটি কোনও কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান দ্বারা তৈরি করা হয় এবং পণ্য হিসেবে বিক্রি করা হয়, তাই কোনও সমস্যা হলে বা সিস্টেম ইনস্টল/সেট আপ করার ক্ষেত্রে যদি তাদের সাহায্যের প্রয়োজন হয়, তাহলে গ্রাহকদের জন্য সর্বদা সহায়তা পাওয়া নিশ্চিত করা কোম্পানির স্বার্থে। এটি উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যার থেকে আলাদা, যেখানে একটি কমিউনিটি সাপোর্ট সিস্টেম বেশি থাকে যেখানে সঠিক সমাধান খুঁজে না পাওয়া পর্যন্ত আপনাকে বিভিন্ন সমাধান অনুসন্ধান করতে হতে পারে। মালিকানাধীন সফটওয়্যার সাধারণত ব্যবসায়িক জগতের চাহিদা পূরণের জন্য এবং বাজারের চাহিদা পূরণের জন্য তৈরি করা হয়। এই কারণে, মালিকানাধীন সফটওয়্যারে প্রায়ই উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যারের তুলনায় বেশি বৈশিষ্ট্য থাকে, উদাহরণস্বরূপ, ওয়ার্ড এবং এক্সেল সহ সমস্ত [[মাইক্রোসফট অফিস]] অ্যাপ্লিকেশনগুলোকে একই সাথে একই কাজে কাজ করার জন্য একসাথে লিঙ্ক করা যেতে পারে।
=== সমালোচনা ===
মালিকানাধীন সফটওয়্যারের একটি প্রধান সমালোচনা হলো যে এই ধরণের সফটওয়্যারের বেশিরভাগই কেবল ক্রয়ের মাধ্যমে পাওয়া যায়। এই ধরণের সফটওয়্যারের দামের পরিসর সস্তা থেকে শুরু করে খুব ব্যয়বহুল পর্যন্ত হতে পারে, উদাহরণস্বরূপ, [[উইন্ডোজ ১০|Windows ১০]] £২৯.৯৯ পর্যন্ত সস্তা হতে পারে। এটি [[অ্যাডোবি ফটোশপ|Adobe Photoshop]] এর মতো অন্যান্য প্রোগ্রামের দাম £২০০০ এ কেনা যাবে। দামের এই পরিসরটি সাধারণ ব্যবহারকারীর জন্য খুবই বিরক্তিকর হতে পারে কারণ একটি কম্পিউটার প্রোগ্রামের জন্য হাজার হাজার পাউন্ড খরচ করা খুবই অযৌক্তিক বলে মনে হয়। মালিকানাধীন সফটওয়্যারের আরও একটি সমালোচনা হলো এর সোর্স কোড দেখতে এবং প্রোগ্রামের কোডিং পরিবর্তন করতে না পারা। ব্যবসায়িক জগতে বিদ্যমান চাহিদা এবং প্রয়োজনীয়তা ক্রমাগত পরিবর্তিত হচ্ছে। এই ক্রমাগত পরিবর্তনশীল পরিবেশের সাথে, মালিকানাধীন সফটওয়্যার প্রায়ই তাদের গ্রাহকদের চাহিদার সাথে তাল মিলিয়ে চলতে পিছিয়ে পড়তে পারে। এটি উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যারের বাজার উন্মুক্ত করে দেয় কারণ ব্যবহারকারীরা চাইলে তাদের উদ্দেশ্য অনুসারে সফটওয়্যারের কার্যকারিতা পরিবর্তন করতে পারেন। মালিকানাধীন সফটওয়্যারে কাস্টমাইজেশন এবং স্ব-উন্নতির অভাবের কারণেই অনেক মানুষ উন্মুক্ত উৎসের সিস্টেম ব্যবহার করতে পছন্দ করে।
=== ওপেন সফটওয়্যার বনাম মালিকানাধীন সফটওয়্যার ===
ওপেন সফটওয়্যার মূলত এমন একটি সফটওয়্যার যা সকলের জন্য বিনামূল্যে এবং প্রাপ্যতাযোগ্য। এটি তাদের চাহিদা পূরণের জন্য প্রোগ্রামটি পরিবর্তন করতে দেয়। এটি অনেক কম্পিউটিং ভক্তদের বিশ্বাস করা অনেক মূল থিম এবং ধারণার একটি অনুসরণ করে। তবে একটি খুব বড় নিরাপত্তা ঝুঁকি রয়েছে এবং ওপেন সফটওয়্যার ব্যবহার করার সময় অনেক লাইসেন্সিং আইন বিবেচনায় নিতে হয়। অন্যদিকে মালিকানাধীন সফটওয়্যার আছে যা অর্থায়ন করা হয় এবং আপনাকে এর জন্য অর্থ প্রদান করতে হবে। এর একটি গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ হলো উইন্ডোজ এক্সপি। প্রায়শই মালিকানাধীন সফটওয়্যার হ্যাকারদের তাদের সিস্টেমে থাকা যেকোনো ত্রুটি বা বাগ কাজে লাগাতে বলে। কিন্তু যখন সমস্যাটি শনাক্ত করা হয়, তখন প্রায়ই তারা এই সমস্যা সমাধানের জন্য কিছু করে না। কারণ এতে অন্যান্য পক্ষের আগ্রহ থাকে। ওপেন সফটওয়্যার খুবই উপকারী কারণ এটি একাধিক ব্যক্তিকে একই জিনিসে একসাথে কাজ করার সুযোগ দেয়, যেমন এই প্রকল্পটি। এটি খুবই কার্যকর, ব্যক্তিদের অন্যদের কাজ পর্যালোচনা করার সুযোগ করে দেওয়ার ফলে আরও সমস্যা চিহ্নিত এবং সমাধান করা হবে। ব্যবহারে খুবই উপকারী, ওপেন সফটওয়্যার আপনাকে একসাথে একাধিক ব্যবহারকারী রাখার সুযোগ দেয়, তবে এটির অপব্যবহার না করা গুরুত্বপূর্ণ। কোনও বাগ-মুক্ত সফটওয়্যার নেই, এটি ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং আরও ভালোর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। প্রোপ্রাইটারি সফটওয়্যারে CLI-এর বিপরীতে GUI এবং ইন্টারঅ্যাকশন বেশি থাকে। এটি সাধারণত ওপেন সফটওয়্যারের সাথে সম্পর্কিত। একটি GUI (গ্রাফিক্যাল ইউজার ইন্টারফেস) মূলত ছবির একটি সিরিজ, একটি মেনু। এটি দ্রুত এবং সহজেই ঘুরে দেখা যায় এবং ব্যবহার করা যায়। এটি এমন ব্যবহারকারীদের জন্য খুবই উপকারী যারা কম্পিউটার শিক্ষিত নন এবং কেবল দ্রুত প্রযুক্তি ব্যবহার করতে চান।
== উন্মুক্ত উৎসের ও মালিকানাধীন সফটওয়্যারের ভবিষ্যৎ ==
উন্মুক্ত উৎসের পূর্ব-বিদ্যমান নকশা এবং ব্লুপ্রিন্টের পরিবর্তন এবং পুনর্বণ্টনকে সর্বজনীনভাবে অবাধে উপলব্ধ করার সুযোগ দেয়। প্রোগ্রামিংয়ের ক্ষেত্রে ওপেন সোর্সের ভবিষ্যৎ নিঃসন্দেহে অনেক প্রোগ্রামার এবং ব্যবসার দ্বারা ব্যবহৃত হতে থাকবে। [http://www.zdnet.com/ ZDNet] দ্বারা পরিচালিত একটি জরিপে দেখা গেছে, ৭৮% কোম্পানি তাদের অনুশীলনে উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যার ব্যবহারের সাথে খাপ খাইয়ে নিয়েছে। এটি একটি স্মরণীয় পদক্ষেপ কারণ ২০১০ সালে "ওপেন সোর্সের ভবিষ্যৎ" জরিপের প্রতিক্রিয়ায়, মাত্র ৪২% কোম্পানি বলেছিল যে তারা OSS ব্যবহার করে। ৯৩% বলেছেন যে গত বছর ধরে ওপেন সোর্সের ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়েছে অথবা স্থির রয়ে গেছে। বর্তমানে, ৬৪% কর্পোরেশন উন্মুক্ত উৎসের প্রকল্পে অংশগ্রহণ করে - যা ২০১৪ সালের তুলনায় ১৪% বেশি। উন্মুক্ত উৎসের প্রকল্পে কোম্পানিগুলোর সম্পৃক্ততার অদূর ভবিষ্যতের পূর্বাভাস ৮৮%-এ উন্নীত হবে বলে আশা করা হচ্ছে <ref>http://www.zdnet.com/article/its-an-open-source-world-78-percent-of-companies-run-open-source-software/</ref>
একজন প্রোগ্রামার হিসেবে উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যারের ভবিষ্যৎ ইতিমধ্যেই তাদের দৈনন্দিন জীবনের অংশ। একজন আধুনিক প্রোগ্রামার হিসেবে, আপনার বর্তমান প্রকল্পগুলোর বেশিরভাগই ইতিমধ্যেই অন্যান্য প্রোগ্রামাররা তাদের বিনামূল্যে উপলব্ধ কোড Github-এর মতো ওয়েবসাইটে রেখে সম্পন্ন করেছেন। এর ফলে ব্যবহারকারীরা এই উন্মুক্ত উৎসের প্রকল্পগুলো ডাউনলোড এবং শেয়ার করতে পারবেন। <ref>https://github.com/github</ref> আজকাল প্রোগ্রামাররা ইতিমধ্যেই করা কোড পুনরায় লিখতে চান না। অদূর ভবিষ্যতে, প্রোগ্রামাররা কেবল উন্মুক্ত উৎসের কোডের কিছু অংশ নেবে এবং সেই প্রকল্পটিকে আরও অনেকের সাথে একত্রিত করে একটি চূড়ান্ত প্রকল্প তৈরি করবে। এটি বিভিন্ন দক্ষতা স্তরের প্রোগ্রামারদের এই উন্মুক্ত উৎসের প্রকল্পগুলো বুঝতে এবং বাস্তবায়ন করতে সাহায্য করে, এছাড়াও প্রোগ্রামারদের একটি প্রকল্প সম্পূর্ণ করার জন্য সময় এবং অর্থ সাশ্রয় করে।
উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যারের ভবিষ্যৎ আমাদের সমাজের প্রযুক্তির অগ্রগতির উপর নাটকীয় প্রভাব ফেলবে। এর একটি উদাহরণ হতে পারে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি হেডসেট, ওকুলাস রিফট। এই হেডসেটের সম্পূর্ণ সোর্স কোড ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে জনসাধারণের জন্য প্রকাশ করা হয়েছিল। <ref>http://www.forbes.com/sites/jasonevangelho/2014/01/10/rumor-oculus-rift-will-launch-summer-2014-for-less-than-499/#fe6788046985</ref> এই হেডসেটটি সম্পূর্ণরূপে উন্মুক্ত উৎসের হওয়ার পর এই পণ্যটির অগ্রগতি অসাধারণ। ২০১৪ সালে ওকুলাস রিফটসের সোর্স কোড প্রকাশের পর এটি স্যামসাং গিয়ার ভার্চুয়াল রিয়েলিটি হেডসেটের মতো নতুন ভার্চুয়াল রিয়েলিটি হেডসেটগুলো বুঝতে এবং তৈরি করতে সহায়তা করেছে। <ref>http://www.samsung.com/uk/consumer/mobile-devices/wearables/gear/SM-R320NPWABTU</ref>
বিল গেটস ১৯৯৪ সালের পর জন্মগ্রহণকারী শিশুদের ইন্টারনেটের সাথে বেড়ে ওঠা প্রথম প্রজন্ম হিসেবে উল্লেখ করেছেন। ১০-১২ বছর বয়সী ৯০% শিশু অনলাইন গেম খেলে। <ref>https://hbr.org/2012/04/the-mobile-re-generation</ref> যেহেতু এই শিশুদের মধ্যে প্রযুক্তি তাদের জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ, তাই এখন অনেক স্কুলে প্রোগ্রামিং শেখানো হচ্ছে। শিশুদের প্রোগ্রামিং দক্ষতা বিকাশের জন্য এখন প্রোগ্রামিং ক্লাব প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। <ref>http://coderdojostirling.com/</ref> এর থেকে বোঝা যায়,প্রযুক্তির ব্যবহার বছরের পর বছর ধরে বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে ওপেন সোর্সের ব্যবহারও বৃদ্ধি পাবে। সকল বয়সের শিশুরা তাদের নিজস্ব আনন্দের জন্য প্রকল্পগুলো সম্পন্ন করার জন্য উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যার ব্যবহার করে। এখন স্কুলে শিশুরা প্রোগ্রামিং শিখছে, তাই অনলাইন ইন্টারেক্টিভ প্রোগ্রামিং ক্লাসগুলো ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। <ref>https://www.codecademy.com/learn</ref> বেশিরভাগ মানুষের কাছে ইন্টারনেট সহজলভ্য হওয়ার সাথে সাথে, এই ইন্টারেক্টিভ প্রোগ্রামিং ক্লাসের ব্যবহার ক্রমশ বৃদ্ধি পাবে। এর অর্থ হলো, যত বেশি মানুষ প্রোগ্রামিং শিখবে, ওপেন সোর্সের ব্যবহার তত বাড়বে।
'উন্মুক্ত উৎসের গ্রাহক এবং ব্যবসার মধ্যে স্বাধীনতা প্রদান করে', <ref>http://open-source.gbdirect.co.uk/migration/benefit.html#flexibilityfreedom</ref> কিছু মালিকানাধীন সফটওয়্যার নমনীয় বলে দাবি করে কিন্তু নমনীয়তা সৃজনশীলতাকে বোঝায় এবং উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যার ব্যবহারের মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা কোনও সীমা ছাড়াই তাদের নিজস্ব প্রয়োজনের জন্য নিজস্ব সফটওয়্যার তৈরি করতে পারে। উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যার ব্যবহারকারীদের নিয়ন্ত্রণে থাকতে, তাদের নিজস্ব সিদ্ধান্ত নিতে এবং তারা যা চায় তা করতে সাহায্য করে। <ref>http://www.pcworld.com/article/209891/10_reasons_open_source_is_good_for_business.html</ref> আজকাল মানুষ জানে তারা কী চায় এবং কীভাবে তারা কাজ করতে চায়, এবং প্রযুক্তি আমাদের জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে ওঠার সাথে সাথে উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যারের ব্যবহারও বৃদ্ধি পাবে।
মানুষ এমন ব্যক্তি যারা নিজের সিদ্ধান্ত নিতে এবং স্বাধীনভাবে কাজ করতে পছন্দ করে এবং উন্মুক্ত উৎসের এই ধারণাকে সম্পূর্ণরূপে সমর্থন করে। ওপেন সোর্সের ভবিষ্যৎ খুবই ইতিবাচক দেখাচ্ছে; বর্তমানে এটি ইতিমধ্যেই প্রযুক্তিগত জীবনযাত্রার একটি সমন্বিত অংশ। সাধারণত, আজকাল উৎপাদিত প্রতিটি সফটওয়্যারের উন্নয়নে উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যার ব্যবহার করা হয়। বছরের পর বছর ধরে প্রযুক্তিগত অগ্রগতি উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যার ব্যবহারের দ্বারা ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হয়েছে। কারণ প্রতিটি প্রোগ্রামারের হাতে বিশাল ডেভেলপার রয়েছে। এছাড়াও ১৯৯৪ সালের পরে জন্ম নেওয়া শিশুদের দৈনন্দিন জীবনে এখন প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু হয়েছে, তাদের ছোটবেলা থেকেই প্রোগ্রামিং শেখানো হচ্ছে এবং ব্যক্তিরা অনলাইনে ইন্টারেক্টিভ প্রোগ্রামিং ক্লাসেও অংশগ্রহণ করছে। প্রযুক্তির ক্রমাগত অগ্রগতি এবং ব্যবহারের সাথে সাথে এটি অনিবার্য যে সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্টের ক্ষেত্রে উন্মুক্ত উৎসের ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হবে কারণ এর অনেক সুবিধা রয়েছে। ভবিষ্যতেও উন্মুক্ত উৎসের ব্যবহার অব্যাহত থাকবে, তবে উন্মুক্ত উৎসের ইতিমধ্যেই প্রযুক্তিগত উন্নয়নের একটি সমন্বিত অংশ। '''ভবিষ্যৎ এখানেই।'''
== শব্দকোষ ==
== শব্দকোষ ==
সমস্ত শর্তাবলী ইন্টারনেট অফ এভরিথিংয়ের উপরের অধ্যায় থেকে নেওয়া হয়েছে। সমস্ত সংজ্ঞা উইকিপিডিয়া এবং অক্সফোর্ড অভিধান থেকে নেওয়া হয়েছে।
4Chan 4chan একটি ইংরেজি ভাষার ইমেজ বোর্ড ওয়েবসাইট। ব্যবহারকারীরা সাধারণত বেনামে পোস্ট করেন, সাম্প্রতিকতম পোস্টগুলি বাকিগুলির উপরে প্রদর্শিত হয়। 4chan তাদের নিজস্ব নির্দিষ্ট সামগ্রী এবং নির্দেশিকা সহ বিভিন্ন বোর্ডে বিভক্ত। রেজিস্ট্রেশনের প্রয়োজন হয় না, বা এটি সম্ভব নয় (স্টাফ ব্যতীত)।
অ্যান্ড্রয়েড একটি অপারেটিং সিস্টেমের নাম, প্রধানত ম্যাক নয় এমন ডিভাইসগুলিতে ব্যবহৃত হয়।
অনামী অ্যানোনিমাস অ্যাক্টিভিস্ট এবং হ্যাক্টিভিস্ট সত্তাগুলির একটি আলগাভাবে যুক্ত আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক। এই গোষ্ঠীর সাথে নামমাত্র যুক্ত একটি ওয়েবসাইট এটিকে "একটি ইন্টারনেট সমাবেশ" হিসাবে বর্ণনা করে "একটি খুব আলগা এবং বিকেন্দ্রীভূত কমান্ড কাঠামো যা নির্দেশের পরিবর্তে ধারণার উপর কাজ করে"
লেখক লেখার পেশা, লেখার উৎস (লেখক হিসাবে) লেখা, সঙ্গীত বা শিল্পের একটি অংশ।
ক্রিয়েটিভ কমন্স ক্রিয়েটিভ কমন্স একটি অলাভজনক সংস্থা যা বিনামূল্যে আইনি সরঞ্জামগুলির মাধ্যমে সৃজনশীলতা এবং জ্ঞান ভাগ করে নেওয়া এবং ব্যবহার সক্ষম করে।
জ্ঞানীয় লোড ওয়ার্কিং মেমরিতে ব্যবহৃত মানসিক প্রচেষ্টার পরিমাণ।
কাস্টমাইজেবিলিটি আপনাকে আপনার প্রয়োজন অনুসারে কিছু কাস্টমাইজ এবং সম্পাদনা করার অনুমতি দেওয়ার কাজ।
ডারউইন উন্মুক্ত উৎসের ইউনিক্স অপারেটিং সিস্টেম যা অ্যাপল দ্বারা নির্মিত এবং ২০০০ সালে মুক্তি পায়।
বিকেন্দ্রীকরণ একটি কেন্দ্রীয় অবস্থান বা কর্তৃপক্ষ থেকে দূরে ফাংশন, ক্ষমতা, মানুষ বা জিনিস পুনরায় বিতরণ বা ছড়িয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া।
ডিজিটাল রাইটস ম্যানেজমেন্ট (DRM) বিভিন্ন প্রাপ্যতা কন্ট্রোল প্রযুক্তি যা মালিকানাধীন হার্ডওয়্যার এবং কপিরাইটযুক্ত কাজগুলির ব্যবহার সীমাবদ্ধ করতে ব্যবহৃত হয়।
একটি নির্দিষ্ট শাসক বা সরকার দ্বারা মালিকানাধীন বা নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলের একটি এলাকা ডোমেন
গুটেনবার্গ ছাপাখানার স্রষ্টা।
হ্যাকার একজন ব্যক্তি যিনি ডেটাতে অননুমোদিত প্রাপ্যতা অর্জনের জন্য কম্পিউটার ব্যবহার করেন।
হ্যাক্টিভিজম হ্যাক্টিভিজম হ'ল রাজনৈতিক বা সামাজিকভাবে অনুপ্রাণিত উদ্দেশ্যে হ্যাকিং বা কম্পিউটার সিস্টেমে প্রবেশ করার কাজ। যে ব্যক্তি হ্যাক্টিভিজমের কাজ করে তাকে হ্যাক্টিভিস্ট বলা হয়।
হার্ডওয়্যার বস্তু যা বাস্তব। এটি আপনি শারীরিকভাবে স্পর্শ করতে এবং সরাতে পারেন। কম্পিউটার হার্ডওয়্যার স্পিকার, কীবোর্ড ইত্যাদি নিয়ে গঠিত।
ল্যাম্প একটি অ্যাব্রেভিয়েশন যা একটি কম্পিউটারের অপারেটিং সিস্টেমকে কভার করে। লিনাক্স, অ্যাপাচি, মাইএসকিউএল, পিএইচপি।
লিনাক্স সফটওয়্যারটির একটি অংশ যা উন্মুক্ত উৎসের ও আপনাকে নিজের অপারেটিং সিস্টেমটি সম্পূর্ণ করতে এবং লিখতে সক্ষম করে। অপারেটিং সিস্টেম ইউনিক্সের ভিত্তি ব্যবহার করে।
মেমস একটি প্রযুক্তি যা তার সবচেয়ে সাধারণ আকারে ক্ষুদ্র যান্ত্রিক এবং ইলেক্ট্রো-মেকানিক্যাল উপাদান (যেমন, ডিভাইস এবং কাঠামো) হিসাবে সংজ্ঞায়িত করা যেতে পারে যা কৌশলগুলি ব্যবহার করে তৈরি করা হয় মাইক্রো ফ্যাব্রিকেশন।
মাইক্রোসফট অফিস মাইক্রোসফট অফিস সিস্টেম মাইক্রোসফট দ্বারা তৈরি কম্পিউটার প্রোগ্রামগুলির একটি সংগ্রহ। প্রোগ্রাম সব ব্যবহারকারীর জন্য তৈরি করা হয়। হোম ব্যবহারকারীদের জন্য এবং ব্যবসায়িক ব্যবহারকারীদের জন্য সফটওয়্যারটির বিভিন্ন সংস্করণ রয়েছে।
নাসা ন্যাশনাল অ্যারোনটিক্স অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন।
ই এম এর নির্মাতারা যারা নিজের নামে এবং ব্র্যান্ডিংয়ের অধীনে অন্য সংস্থার পণ্য পুনরায় বিক্রয় করে।
ওপেন অফিস একটি উন্মুক্ত উৎসের অফিস প্রোডাক্টিভিটি স্যুট। সফটওয়্যার মাইক্রোসফট উইন্ডোজ, অ্যাপল ম্যাকস এবং লিনাক্স সহ সমস্ত প্রধান অপারেটিং সিস্টেমের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
উন্মুক্ত উৎসের এমন সফটওয়্যার নির্দেশ করা যার জন্য মূল উত্স কোডটি বিনামূল্যে উপলব্ধ করা হয়েছে এবং পুনরায় বিতরণ এবং সংশোধন করা যেতে পারে।
মেরুকরণ সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে (একটি ট্রান্সভার্স তরঙ্গ, বিশেষত আলো) এর কম্পনকে এক দিকে সীমাবদ্ধ করুন।
গোপনীয়তা এমন একটি রাষ্ট্র যেখানে কেউ অন্য লোকেদের দ্বারা পর্যবেক্ষণ বা বিরক্ত হয় না।
মালিকানা সফটওয়্যার যা কোনও ব্যক্তি বা সংস্থার মালিকানাধীন (সাধারণত এটি বিকাশকারী)। এর ব্যবহারের উপর প্রায় সর্বদা বড় বিধিনিষেধ রয়েছে এবং এর উত্স কোডটি প্রায় সর্বদা গোপন রাখা হয়।
সার্ভার একটি কম্পিউটার বা কম্পিউটার প্রোগ্রাম যা একটি নেটওয়ার্কে একটি কেন্দ্রীভূত সম্পদ বা পরিষেবা প্রাপ্যতা পরিচালনা করে।
সফটওয়্যার একটি কম্পিউটার দ্বারা ব্যবহৃত প্রোগ্রাম এবং অন্যান্য অপারেটিং তথ্য।
সিস্টেম একটি প্রক্রিয়া বা একটি আন্তঃসংযোগকারী নেটওয়ার্কের অংশ হিসাবে একসাথে কাজ করা জিনিসগুলির একটি সেট; একটি জটিল সমগ্র।
টেলিটেক্সট পাঠ্য এবং গ্রাফিক্স আকারে একটি সংবাদ এবং তথ্য পরিষেবা, উপযুক্ত রিসিভার সহ টেলিভিশনগুলিতে বিদ্যমান টেলিভিশন চ্যানেলগুলির অতিরিক্ত ক্ষমতা ব্যবহার করে প্রেরণ করা হয়।
ljowookrcx0mmb7airhck7ow99hjeuq
85815
85812
2025-07-08T04:21:25Z
MS Sakib
6561
85815
wikitext
text/x-wiki
= উন্মুক্ত উৎসের ও মালিকানাধীন প্রযুক্তি =
== ভূমিকা ==
[[সবকিছুর জন্যেই ইন্টারনেট?|"সবকিছুর জন্যেই ইন্টারনেট?"]] উইকিবইয়ের এই অধ্যায়ে উন্মুক্ত উৎসের ও মালিকানাধীন প্রযুক্তির মূল ধারণাগুলো অন্বেষণ করা হবে। ১৯৭০-এর দশকে শুরু হওয়া এই দুই ধরণের সফটওয়্যারের ঐতিহাসিক বিকাশ তাদের স্রষ্টা, অবদানকারী এবং তৈরি প্রযুক্তিগত পণ্যের সূত্রের সঙ্গে পরীক্ষা করা হবে। ১৯৮০ এবং ১৯৯০ এর দশকে উন্নয়ন অব্যাহত থাকার সাথে সাথে [[হ্যাকার সংস্কৃতি|'হ্যাকারদের']] ব্যাপকতা এবং গুরুত্ব আরও প্রাসঙ্গিক হয়ে ওঠে। বিষয়কে ঘিরে নৈতিক যুক্তিগুলোও তাই। এই অধ্যায়ে দুটি বিপরীতমুখী সফটওয়্যারের পরিপ্রেক্ষিতে মেধাস্বত্ব বা [[w:মেধাস্বত্ব|কপিরাইট]] এবং [[w:ক্রিয়েটিভ কমন্স লাইসেন্স|ক্রিয়েটিভ কমন্সের]] ধারণাগুলোও বিশ্লেষণ করা হবে। দুটি ভিন্ন সফটওয়্যারের গভীর বিশ্লেষণের মাধ্যমে তাদের ক্ষমতার সুবিধা-অসুবিধা সম্পর্কে আলোচনা করা হবে। উন্মুক্ত উৎসের ও মালিকানাধীন সফটওয়্যারের এই ভিত্তিগত গবেষণা ব্যবহার করে এই অধ্যায়টি দুটি সফটওয়্যারের সমসাময়িক উদাহরণ, তাদের অ্যাপ্লিকেশন এবং একই সাথে একাধিক প্ল্যাটফর্মে কাজ করার ক্ষেত্রে তাদের কার্যকারিতা সম্পর্কিত বিতর্কগুলো পর্যালোচনা করা হবে।
== উন্মুক্ত ও মালিকানাধীন সফটওয়্যারের ইতিহাস ==
একজন লেখক এবং লেখকত্বের সারমর্ম হোমার প্রবর্তন করেছিলেন। আগেকার গল্পগুলো মুখে মুখে বলে পরিবেশিত হত। ফলে মূল দুটি গল্প কখনও হুবুহু এক হতো না। "বার্ড"দের পরিবেশিত এসব গল্পে উন্মুক্ত বাক্যাংশ ব্যবহার করে একটি গল্পের ভিত্তি তৈরি করা হতো। তবে প্রতি দুইটি গল্প একই হতো কিনা, তা এখানে নিশ্চিত করা হতো না।
হোমারই প্রথম ব্যক্তি যিনি কাগজে কলম লাগিয়ে (অর্থাৎ হাতে লিখে) একটি প্রতিলিপি তৈরি করেছিলেন। এর একটি প্রধান উদাহরণ হলো '[[w:ওডিসি|দ্য ওডিসি]]'। এই নতুন ধারণাটি চালু হওয়ার সাথে সাথে হোমার একটি কাল্পনিক জগতকে বৈধতা দিয়েছিলেন। একজন লেখক হওয়ার সাথে সাথেই লেখা বিতরণের চারপাশে একটি সৃজনশীল শিল্প শুরু হয়। লেখার পিছনে কেন আমাদের প্রক্রিয়া আছে এবং কীভাবে সেগুলো কাজ করে এবং বিতরণ করা হয়, সে সম্পর্কে লেখকরা গুরুত্বপূর্ণ। হোমার কপিরাইট আইন ও রয়্যালটির ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।
হোমার প্রতিলিপি লেখার আদর্শ প্রবর্তন করার পর এটি স্পষ্ট হয়ে ওঠে। রখন লেখার কপি ছিল সীমিত। কারণ প্রতিটি কপি হাতে লিখতে হতো। প্রায়ই এসব তৈরি করতে কয়েক মাস পর্যন্ত সময় লাগত। এরপর গুটেনবার্গ ১৫০০ সালের দিকে প্রথম ছাপাখানা চালু করেন। এর ফলে কপি করা দ্রুততর হয় এবং লেখকদের পাঠক সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। শেক্সপিয়র মূলত এভাবেই খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। কারণ তিনি দ্রুত ধারাবাহিকভাবে প্রচুর প্রতিলিপি তৈরি করতে সক্ষম হয়েছিলেন। তবে আধুনিক সমাজে আমরা এই যুগান্তকারী আবিষ্কারটিকে হালকাভাবে নিই। কারণ আমরা কোনও দ্বিধা ছাড়াই মূল মালিককে এর রয়্যালটি বা স্বীকৃতি না দিয়েই কোনও কাজের অনুলিপি তৈরি করতে পারি।
বিভিন্ন প্রতিলিপি প্রাপ্যতা করার দ্রুততার কারণে একটি রেজিস্টার বাস্তবায়ন করা হয়েছিল, যাতে কেবলমাত্র নির্দিষ্ট কিছু প্রত্যয়িত ছাপাখানাগুলোকে কেবল নির্দিষ্ট প্রতিলিপি মুদ্রণের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। তাদের একটি নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে মুদ্রণের অনুমতিপ্রাপ্ত সংখ্যার উপরও একটি সীমা ছিল। লেখক যাতে তাদের শ্রেষ্ঠ রচনাগুলোর জন্য খ্যাতি ও বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করতে পারেন, সেজন্য এটি চালু করা হয়েছিল। স্পষ্টতই এটি ১৫০০ এর দশকের পাশাপাশি এর পরেও ব্যবহৃত হয়েছিল। আজকের আধুনিক যুগে আমরা লেখকত্ব এবং রয়্যালটি সমর্থন করার জন্য ক্রমাগত কপিরাইট আইন প্রয়োগ করছি।
=== <u>১৯৮০ সালের পূর্ববর্তী</u> ===
==== ইউনিক্স ====
বলা হয় [http://www.unix.org/ ইউনিক্স] হলো কম্পিউটিংয়ের প্রযুক্তিগত অগ্রগতির সূচনা। ১৯৭০-এর দশকের গোড়ার দিকে এটি ছিল সি প্রোগ্রামিং ভাষায় লেখা প্রথম অপারেটিং সিস্টেম। এর মূল স্রষ্টা কেন থম্পসন এবং ডেনিস রিচি ছিলেন বলে বিশ্বাস করা হয়।<ref>http://www.unix.org/what_is_unix/history_timeline.html</ref> এটি ছিল প্রথম উন্মুক্ত উৎসের অপারেটিং সিস্টেম যা যে কেউ বিনামূল্যে যোগ করতে, উন্নত করতে এবং উন্নত করতে পারত।<ref>http://www.unix.org/what_is_unix.html</ref> লিনাক্স সহ এখন পর্যন্ত বেশিরভাগ অপারেটিং সিস্টেমের ভিত্তি ইউনিক্স।
=== <u>১৯৮০–১৯৮৯</u> ===
==== ইউজনেট ====
উন্মুক্ত উৎসের ও মালিকানাধীন প্রযুক্তির সূচনা ১৯৮০ এর দশকের আগেই শুরু হয়েছিল। কিন্তু এই সময়ের আগে খুব বেশি কিছু সহজলভ্য ছিল না। কারণ ১৯৮০ সালের আগে [https://en.usenet.nl/ ইউজনেটের] আগমন ঘটেনি। বিশ্বব্যাপী ভাগাভাগি এবং সহযোগিতার প্রথম উপায় ছিল ইউজনেট। ইউজনেট প্রকাশের সাথে সাথে এটি উন্মুক্ত উৎসের তথ্য ভাগাভাগি এবং ফাইল ভাগাভাগি উভয়েরই সূচনা করে।
==== গ্নু প্রকল্প/মুক্ত সফটওয়্যার আন্দোলন ====
উন্মুক্ত উৎসের ও মালিকানাধীন সফটওয়্যারের পরবর্তী ঐতিহাসিক মুহূর্ত ছিল রিচার্ড স্টলম্যানের দ্বারা গ্নু প্রকল্পের ভূমিকা। [https://www.gnu.org/ গ্নু] হলো ব্যবহারকারীদের স্বাধীনতাকে সম্মান করার আরেকটি অপারেটিং সিস্টেম প্রকল্প। বিভিন্ন উন্মুক্ত উৎসের প্রোগ্রাম দ্বারা এটি করা হয়েছে। অর্থাৎ গ্নু সফটওয়্যার নিজেই তৈরি করে না। গ্নু যখন তৈরি হয়, তখন [http://www.gnu.org/philosophy/free-software-intro.en.html "মুক্ত সফটওয়্যার আন্দোলন"] শুরু হয়েছিল। মুক্ত সফটওয়্যার আন্দোলনের ধারণা হলো কম্পিউটার ব্যবহারকারীদের একটি সম্প্রদায় গঠনের স্বাধীনতা।
==== ৩৮৬বিএসডি ====
১৯৮০-এর দশকের শেষের দিকে [http://www.386bsd.org/ 386বিএসডি-এর] কাজ শুরু হয়। ৩৮৬বিএসডি "জোলিক্স" নামেও পরিচিত। এটি ইউনিক্স থেকে আসা আরেকটি বিনামূল্যের অপারেটিং সিস্টেম। এটি ঐতিহাসিক মুহূর্তগুলোর আরেকটি অগ্রগতি কারণ এটি পরবর্তীতে ফ্রিবিএসডি এবং নেটবিএসডি-এর দিকে পরিচালিত করে।
=== <u>১৯৯০-১৯৯৯</u> ===
==== লিনাক্স ====
এই দশকটি উন্মুক্ত উৎসের ও মালিকানাধীন সফটওয়্যারকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করেছে। অগ্রগতির পাশাপাশি ১৯৯১ সালে লিনাস টরভাল্ডস লিনাক্স তৈরির সিদ্ধান্ত নেন। এটি গ্নু অপারেটিং সিস্টেমের উপর অগ্রসর হয়, যাতে একটি সম্পূর্ণ বিনামূল্যের এবং উন্মুক্ত উৎসের অপারেটিং সিস্টেম প্রদান করা যায়। লিনাক্সের প্রতিষ্ঠাতা ইউনিক্সের নিজস্ব সংস্করণ তৈরি করেছিলেন। তিনি নিজের অপারেটিং সিস্টেম তৈরি করতে চেয়েছিলেন। তবে আপনি হয়তো কল্পনা করতে পারবেন না, ১ কোটি লাইন কোড লিখতে কতটা সময় লাগবে/ তাই তিনি ইন্টারনেটে তার দৃষ্টিভঙ্গি ভাগ করে নেন। ফলস্বরূপ অনেক কম্পিউটার উৎসাহী এতে যোগ দেন। মূলত এটি ছিল একটি কম্পিউটিং সিস্টেম, যা যে কেউ তৈরি ও ব্যবহার করতে সক্ষম। অপারেটিং সিস্টেমটিকে একই সাথে বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম ও মাল্টিমিডিয়ামে সংহত করা একটি চ্যালেঞ্জ ছিল। তবে একবার কার্নেল, অপারেটিং সিস্টেমের ভিত্তি তৈরি হয়ে গেলে বাকিগুলো পালাক্রমে অনুসরণ করা হয়।
==== লাল টুপি বা রেড হ্যাট ====
১৯৯৩ সালে [https://www.redhat.com/en/open-source রেড হ্যাটের] প্রতিষ্ঠা ঘটে। রেড হ্যাট একটি লিনাক্স ডিস্ট্রিবিউশন ভিত্তিক কোম্পানি। এটি প্রমাণ করে যে উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যার অত্যন্ত লাভজনক হতে পারে। তারা তাদের নীতিবাক্য পূরণ করার চেষ্টা করে:<div align="center">
<small>"প্রতিটি সমাধান শুরু হয় সমস্যা ভাগ করে নেওয়ার মাধ্যমে। প্রযুক্তি উন্মুক্তভাবে সমৃদ্ধ হয়, যেখানে মানুষ তাদের ধারণা ভাগ করে নেওয়ার এবং অন্যদের কাজের উপর ভিত্তি করে গড়ে তোলার জন্য স্বাধীন।"</small>
<small>"সৃষ্টি সর্বদা সহযোগিতার একটি কাজ" </small>
</div>
==== MySQL/Java 1.0 ====
১৯৯৫ সালে [https://www.mysql.com/ মাইএসকিউএল] এবং প্রথম [https://java.com/en/ জাভা] সোর্স প্রোগ্রামিং ভাষা উভয়ই প্রকাশিত হয়েছিল। মাইএসকিউএল হলো একটি ওপেন-সোর্স রিলেশনাল ডাটাবেস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম। এটি ISAM ভাষার উপর ভিত্তি করে তৈরি। জাভা ১.০ এর প্রথম পাবলিক রিলিজটিও ১৯৯৫ সালে [https://www.oracle.com/sun/index.html?PHPSESSID=8fd76773d26875481e097a4a27c7a6a1 সান মাইক্রোসিস্টেমস] দ্বারা প্রকাশিত হয়েছিল। ২০০৬ সালে OpenJDK চালু হওয়ার পর সান মাইক্রোসিস্টেম সমস্ত জাভা প্যাকেজ উন্মুক্ত উৎসের প্রোগ্রাম তৈরি করে।<div align="center">
<small>জাভা ১.০ প্রতিশ্রুতি দিয়েছে "একবার লিখুন, যেকোনো জায়গায় চালান</small>
</div>
==== অ্যাপাচি ====
পরবর্তীতে দশকের শেষের দিকে আমরা [https://httpd.apache.org/ অ্যাপাচি প্রকাশের মাধ্যমে আরও অগ্রগতি দেখতে পাই।] অগ্রগতি স্থবির হয়ে পড়ার পর NCSA HTTPd সার্ভারগুলোতে সম্প্রসারণের প্রয়াসে অ্যাপাচি-র উপর ভিত্তি তৈরি করা হয়েছিল অ্যাপাচি হলো একটি অবাধে উপলব্ধ ওয়েব সার্ভার। এটি একটি উন্মুক্ত উৎসের লাইসেন্সের অধীনে বিতরণ করা হয়।
==== নেটস্কেপ ====
১৯৯৮ সালে [http://isp.netscape.com/ নেটস্কেপ] তাদের ওয়েব ব্রাউজার উন্মুক্ত উৎসের করে দেয়। মজিলা হলোনেটস্কেপের তৈরি একটি মুক্ত সফটওয়্যার সম্প্রদায়। এটি উন্মুক্ত উৎসের হওয়ার ফলে ব্যবহারকারীরা পণ্যটি ব্যবহার, বিকাশ এবং প্রসারের সুযোগ পান। <ref>https://www.mozilla.org/en-GB/</ref> এরপর মজিলা [https://www.mozilla.org/en-GB/about/ মজিলা ফায়ারফক্স] তৈরি করে।এটি আজও একটি সুপরিচিত ওয়েব ব্রাউজার।
==== ল্যাম্প ====
LAMP এর বেশিরভাগ ধারণা নিম্নরূপ।
<u>(L) লিনাক্স -</u> অপারেটিং সিস্টেম যা পুরো প্রক্রিয়াটিকে সমর্থন করে।
<u>(A) অ্যাপাচি</u> - অ্যাপাচি হলো একটি ওয়েব সার্ভার। এটি আপনাকে আপনার প্রয়োজনীয় তথ্য অর্জনের জন্য সিস্টেমের সাথে কীভাবে যোগাযোগ করতে হবে তা বলে। এটি একটি গ্রাফিক্যাল ইউজার ইন্টারফেসের (GUI) অনুরূপ। এটি সার্ভারগুলোকে একে অপরের সাথে কীভাবে ইন্টারঅ্যাক্ট করতে হয় তাও বলে।
<u>MySQL</u> বা মাইএসকিউএল হলো ডাটাবেজ। এখানেই সমস্ত তথ্য সংরক্ষণ করা হয় এবং ব্যবহারকারীর কাছে উপস্থাপন করার জন্য পুনরুদ্ধার করা হয়।
<u>PHP</u> - পিএইচপি হলো ব্যবহারকারীর কাছে সিস্টেমের সামগ্রিক সরবরাহ/ যেমন একটি মনিটর, স্পিকার এবং VDU। এটি ব্যবহারকারীকে সামগ্রিক অভিজ্ঞতা প্রদান করে।
কম্পিউটার ব্যবহারের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সবকিছুই উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যারের মাধ্যমে করা হয়।
=== <u>২০০০-২০১০</u> ===
==== ওপেনঅফিস ====
২০০০-এর দশকেও উন্মুক্ত উৎসের ও মালিকানাধীন সফটওয়্যারের অগ্রগতি অসাধারণ ছিল। ২০০১ সালে ওপেনঅফিস প্রথম প্রকাশিত হয়। এটি পরবর্তীতে [https://www.openoffice.org/ অ্যাপাচি ওপেনঅফিস], [https://www.libreoffice.org/ লিব্রেঅফিস] এবং ওরাকল ওপেনঅফিসে (এটিই একমাত্র ক্লোজড সোর্স যা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল) শাখাভুক্ত হয়। ওপেনঅফিস ছিল একটি উন্মুক্ত উৎসের অফিস স্যুট প্রোগ্রাম। এটি মাইক্রোসফট অফিসের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে।
==== উবুন্টু ====
২০০৪ সালের মধ্যেই ডেবিয়ান-ভিত্তিক লিনাক্স ডিস্ট্রিবিউশন [http://www.ubuntu.com/ উবুন্টু] মুক্তি পায়। "উবুন্টু একটি উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যার প্ল্যাটফর্ম। এটি স্মার্টফোন, ট্যাবলেট এবং পিসি থেকে শুরু করে সার্ভার এবং ক্লাউড সর্বত্র চলে।" উবুন্টুর লোগো প্রতীকটি "বন্ধুদের বৃত্ত" প্রতিনিধিত্ব করে। এটি উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যারের সাথে সহযোগিতা প্রদর্শন করে। এটি একটি অত্যন্ত ঐতিহাসিক মুহূর্ত। কারণ এখন উবুন্টুর ২৪টিরও বেশি অফিসিয়াল রিলিজ থাকার পাশাপাশি অনেক অনানুষ্ঠানিক ভার্সনও রয়েছে।
==== গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ ====
এই আলোচনায় চারজন প্রভাবশালী কম্পিউটিং প্রতিভার কথা উল্লেখ করাও গুরুত্বপূর্ণ। তারা তাদের আবিষ্কারের মাধ্যমে বিশ্বকে মুগ্ধ করেছিলেন। ১৯৪৫ সালে স্নায়ুযুদ্ধের প্রাক্কালে <u>বুশ</u> মাইক্রো ফিল্ম ব্যবহার করে প্রথম কম্পিউটার চালু করেন। তিনি বিশ্বাস করতেন, সকলেরই বিশ্ব জ্ঞানে প্রবেশাধিকার থাকা উচিত। এটি ছিল একটি অত্যন্ত কাল্পনিক পদ্ধতি। বুশ আর্থিক মূল্যের জন্য এই ক্ষেত্রটি অনুসরণ করেননি। বরং তিনি বিশ্বাস করতেন,প্রত্যেকেরই তথ্যের প্রাপ্যযোগ্যতা থাকা উচিত। এনিগমায় তার কাজের জন্য কুখ্যাত <u>টুরিং</u> এমন একটি যন্ত্র তৈরি করেছিলেন যা যেকোনো কিছু গণনা করতে সক্ষম ছিল। তথ্য ইনপুট করার এবং দ্রুত ধারাবাহিকভাবে কম্পিউটিং কোডের মাধ্যমে যন্ত্রের বোধগম্য ভাষাতে রূপান্তর করার সুযোগ পাওয়া যায়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় টুরিং সরকারি কোড এবং সাইবার স্কুলে কাজ করেছিলেন। টুরিংকে একটি দল বরাদ্দ করা হয়েছিল যেখানে তিনি জার্মান নৌ ক্রিপ্ট বিশ্লেষণের দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন। <u>এঙ্গেলবার্ট</u> যুক্তরাজ্যের অন্ধকার প্রধান প্রতিরক্ষার জন্য কাজ করেছিলেন। তিনি দৈত্যদের কাঁধে দাঁড়ানোর উপর বিশ্বাস করতেন এবং বুশ এবং টুরিংয়ের তৈরি পূর্ববর্তী কাজগুলো ব্যবহার করতেন। রিনি অনেক দুর্দান্ত জিনিস অর্জনের জন্য এটিকে প্রসারিত করেছিলেন। সকল ডেমোর জননী ১৯৬৯। তবে অন্য তিনজনের তুলনায় <u>নেলসন</u> ছিলেন খুবই রহস্যময়। নেলসন হাইপারটেক্সট, HTTP এবং মূলত ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব (www) তৈরিতে সহায়তা করেছিলেন। তিনি জানাডু নামে পরিচিত একটি প্রোগ্রামও তৈরি করেছিলেন। ধারণা করা হয়েছিল এটি ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবের চেয়ে বেশি দক্ষ হবে। তবে আগের তিনজনের বিপরীতে নেলসন ধারণাটি পেটেন্ট করতে এবং ফ্র্যাঞ্চাইজির মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে চেয়েছিলেন। দুর্ভাগ্যবশত নেলসনের ক্ষেত্রে এটি কাজ করেনি। শীঘ্রই ধারণাটি ব্যর্থ হয়ে যায়। এই সংক্ষিপ্ত ইতিহাস জুড়ে একটি মূল বিষয়বস্তু হলো সামরিক বাহিনীর সাথে সম্পর্ক এবং যোগাযোগ। যদি সামরিক বাহিনী এবং সম্ভবত বিশ্বযুদ্ধ না থাকত, তাহলে আমরা আজ উন্নয়নের ডিজিটাল জগতে যেখানে আছি সেখানে হয়তো থাকতাম না। এমনকি আইপি ইন্টারনেট প্রোটোকলও সামরিক বাহিনী থেকেই এসেছে/ তবে একটি বিষয় নিশ্চিত, আসলে ডিজিটাল প্রযুক্তি খুবই রাজনৈতিক।
== হ্যাকার নীতি ==
=== হ্যাকারের বিবর্তন: অতীত ও বর্তমান ===
"হ্যাকার" শব্দটির সাধারণ অর্থ বিভিন্ন প্রজন্মের কাছে ভিন্ন ভিন্ন। লেভি (১৯৬৮) বলেছেন, কম্পিউটার বিজ্ঞান জগতের লোকেরা "এই শব্দটিকে উপহাসের একটি রূপ হিসেবে ব্যবহার করত। এর অর্থ হ্যাকাররা হয় অলস সামাজিকভাবে বহিষ্কৃত অথবা "অপেশাদার" প্রোগ্রামার, যারা নোংরা "অমানবিক" কম্পিউটার কোড লিখেছিল"।<ref>Levy, Steven. 1986 ''Hackers: - Heroes of the Computer Revolution''</ref> লেভি হ্যাকার কী তা বর্ণনা করেছেন। তার তুলনায় ডগলাস (২০০২) হ্যাকারদের বর্ণনা করেছেন "একটি সংস্কৃতি হিসেবে, কম্পিউটার উৎসাহীদের একটি দল যারা এমন একটি জায়গা এবং পদ্ধতিতে কাজ করে যা সঠিকভাবে কীভাবে কাজ করে তা জানার জন্য সীমাহীন কৌতূহলের অনুভূতি দ্বারা সংজ্ঞায়িত করা যেতে পারে। তবে এই জ্ঞানকে আরও বিস্তৃত সাংস্কৃতিক ধারণা দ্বারা সংজ্ঞায়িত করা হয়"। <ref>Levy, Steven. 1986 ''Hackers: - Heroes of the Computer Revolution''</ref> আবার দুটি ভিন্ন প্রজন্ম হ্যাকার কী তা বিশ্বাস করে তার দুটি ভিন্ন সংজ্ঞা দেয়। হ্যাকিংয়ের এই ইতিহাসটি একটি জটিল কিন্তু আকর্ষণীয় ক্ষেত্র। কারণ একবিংশ শতাব্দীতে আমরা হ্যাকিংকে একটি অপরাধ হিসেবে জানি। কিন্তু আজকের বিশ্বে অগ্রগতির জন্যেই এটি ব্যবহার করা হয়েছিল। আবার লেভি (২০১৬) উদ্ধৃত করেছেন, "এটি ছিল ভাগাভাগি, উন্মুক্ততা, [[বিকেন্দ্রীকরণ]] এবং যেকোনো মূল্যে মেশিনের উন্নতি এবং বিশ্বকে উন্নত করার জন্য মেশিন হাতে পাওয়ার একটি দর্শন"। এই দর্শন বা নীতিশাস্ত্র তাদের সংস্কৃতির জন্য উপহার ছিল; এমন কিছু যা আমাদের মধ্যে যাদের কম্পিউটারে মোটেও আগ্রহ নেই তাদের জন্যও মূল্যবান। হ্যাকিংয়ের বিবর্তন দেখতে পাওয়া যায় যদি কেউ হ্যাকিংয়ের এই গতিবিধিটি অধ্যয়ন করে যা বর্তমানে "অজ্ঞাত" নামে পরিচিত। কারণ এই আন্দোলনটি শুরু হয়েছিল সহজ ট্রোলিং, অপ্রীতিকর উপাদান ভাগ করে নেওয়া এবং [[ফোরচান|4chan]] ওয়েবসাইটে "মিমস" এর মতো অদ্ভুত নতুন ইন্টারনেট অভিব্যক্তি তৈরির মাধ্যমে। হ্যাকাররা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির এই পটভূমি থেকে এসেছে এবং এটিকে "হ্যাকটিভিজম"-এ রূপান্তরিত করেছে। এটি কোনও উদ্দেশ্যকে সমর্থন, অসম্মান বা ব্যাহত করার সরাসরি উদ্দেশ্য নিয়ে হ্যাকিং। এই "অজ্ঞাত" ভাবে তৈরি করেছে। এগুলো হ্যাকিং বিবর্তনের একটি সহজ ফসল এবং অনেকেই ইতিবাচক হিসেবে দেখবেন এমন কাজ করেছে। যেমন [[কু ক্লাক্স ক্লান|কু ক্লাক্স ক্ল্যানের]] সদস্যদের উন্মোচন করা।
=== সৃজনশীল বনাম অপরাধী ===
কম্পিউটারের প্রাথমিক যুগের সাথে সাথে উন্নতির জন্য সর্বদাই জায়গা ছিল। প্রতি বছর বিভিন্ন হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যার দিয়ে কম্পিউটার আপগ্রেড করা হচ্ছে। এক অর্থে হ্যাকাররা সবসময়ই বোঝাপড়ার জন্য চেষ্টা করত। কিন্তু এগিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে তারা সফটওয়্যারও আপগ্রেড করছিল। অ্যালবার্টস এবং ওল্ডেনজিয়েল (২০১৪) এর বর্ণনা অনুযায়ী হ্যাকার ছিলেন একজন ব্যক্তি "যিনি ইচ্ছাকৃতভাবে বাইরের ব্যক্তির ভূমিকা বেছে নেন, জটিলতাগুলো আয়ত্ত করতে হয়, তালা ভাঙতে হয় এবং বহিষ্কারকে অনুপ্রবেশের মাধ্যমে মোকাবেলা করতে হয়"। তারা আরও ব্যাখ্যা করে, হ্যাকাররা "কোনও ক্ষতি না করার জন্য" অনুপ্রবেশের একটি ছাপ রেখে যেতে চেয়েছিল। বিশ্বজুড়ে হ্যাকার সংস্কৃতিকে ভিন্নভাবে দেখা হয়। অনেক দেশ এই সংস্কৃতিকে বিভিন্ন রূপে ব্যবহার করে। উদাহরণস্বরূপ, যুগোস্লাভ কিশোর-কিশোরী এবং ছাত্ররা পার্টি ও সঙ্গীতের উপসংস্কৃতির অংশ হিসেবে কম্পিউটার "ঝাঁকুনি" দিত। অন্যদিকে ফিনিশ গণতন্ত্রগুলো এটিকে "উদীয়মান প্রোগ্রামারদের তাদের কাজ দেখানোর জন্য" "অনুষ্ঠানের আচার" হিসেবে ব্যবহার করত। অন্যদিকে [[Wau holland|"ওয়াউ হল্যান্ড"]] নামে একজন জার্মান হ্যাকারের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক কার্যকলাপের অভিযোগ আনা হয়েছিল। এর মাধ্যমে তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে একটি ব্যাংকের নিরাপত্তা ত্রুটিগুলো দেখানোর জন্য হ্যাক করেছিলেন। তারা যে সিস্টেমটি হ্যাক করছিল তা ছিল একটি নতুন সিস্টেম যা ব্যাংকটি একটি ইন্টারেক্টিভ টেলিটেক্সট সিস্টেম ( [[Btx (form factor)|Btx]] ) স্থাপন করেছিল। এর প্রধান নিরাপত্তা ত্রুটি ছিল। হ্যাকাররা পাসওয়ার্ডগুলো হেরফের করতে এবং ট্র্যাক করতে সক্ষম হয়েছিল। এই কাজ করে হল্যান্ড এবং তার সহযোগী এক রাতে তাদের অ্যাকাউন্টে €১৩৫,০০০ ট্রান্সফার করতে সক্ষম হন। তাদের ব্যাংক হ্যাক করার চার বছর পর ওয়ার্নারিকে আরও কম্পিউটার অপরাধের জন্য ফ্রান্সে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। ১৯৮৬/৮৭ সালে [[নাসা|নাসার]] মতো সরকারি কর্তৃপক্ষ এবং গবেষণা সংস্থাগুলোর ব্যবহৃত VAX কম্পিউটারগুলোতে একটি বাগ আবিষ্কার করে হ্যাকাররা এই কম্পিউটারগুলোতে প্রাপ্যতা পেতে সক্ষম হয়। এরপর তার বিরুদ্ধে ১০০টি কম্পিউটার থেকে ডেটা প্রাপ্যতা, কপি এবং ধ্বংস করার অভিযোগ আনা হয়। হ্যাকিং জগতের অপরাধমূলক দিকের আরেকটি উদাহরণ হতে পারে ১৯৯০ সালের AT&amp;T-এর দূরপাল্লার টেলিফোন সুইচিং সিস্টেমটি ক্র্যাশ করার ঘটনা। স্টার্লিং (১৯৯৪) ব্যাখ্যা করেছেন, এই দুর্ঘটনার সময় ৬০,০০০ মানুষ নয় ঘন্টার জন্য টেলিফোন পরিষেবা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল। এটি শুরু হয়েছিল কারণ ম্যানহাটনের একটি সুইচিং-স্টেশন AT&T-এর নিজস্ব সিস্টেমে পাওয়া একটি বাগের কারণে ক্র্যাশ হয়ে গিয়েছিল।
=== কম্পিউটার/হ্যাকিং নীতিশাস্ত্রের গঠন ===
হ্যাকিংয়ের ক্ষেত্রে আমরা জানি যে মানুষ বিভিন্ন কারণে এটি করে। ভালো হোক বা খারাপ, তুলনা করার মতো কোনও মধ্যম ক্ষেত্র নেই। টেলর (১৯৯৯:১৩৬) যা বর্ণনা করেছেন যে "হ্যাকিংয়ের নৈতিক জটিলতার মুখোমুখি হলে, তারা এবং আমাদের পরিস্থিতির মেরুকৃত অবস্থানের মধ্যে থাকা নৈতিক নিশ্চিততাগুলো গ্রহণ করার প্রলোভন দেখা দেয়"। গত দশকে প্রযুক্তির অগ্রগতির সাথে সাথে, এটি হ্যাকিং প্রজন্মকে তাদের নিজস্ব জ্ঞান, নতুন হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যার উন্নত করার জন্য বিভিন্ন খেলার মাঠ উপহার দিয়েছে। হ্যাকিং সম্ভব করার অন্যতম প্রধান কারণ হলো গোপনীয়তার সমসাময়িক সংস্কৃতি যা সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং অর্থনৈতিক মিথস্ক্রিয়ার একটি বৃহৎ অংশকে নিয়ন্ত্রণ করে। গোপনীয়তার কারণে হ্যাকাররা বিচ্ছিন্ন বোধ করে। কিন্তু সুবিধাও পায়। আমরা জানি হ্যাকাররা গোপনীয়তার বিরোধিতা করে, তারা নিজেদের বিরোধিতা করে, তারা যে পদ্ধতি বা পদ্ধতিটি পরিচালনা করে তা কাজে লাগিয়ে, প্রযুক্তি এবং সমসাময়িক সংস্কৃতির সাথে তাদের অবস্থানকে জটিল করে তোলে। ডগলাস (২০০২:১১৫) ব্যাখ্যা করেন যে হ্যাকিংয়ের প্রাথমিক প্রজন্মে, ধারণা, তথ্য ভাগাভাগি করার পাশাপাশি প্রযুক্তি প্রাপ্যতাের জন্য সম্প্রদায়গুলোর উপর প্রচুর নির্ভর করা হত। ১৯৫০/৬০ এর দশকে, সম্প্রদায়গুলো এমআইটি, হার্ভার্ড, কর্নেল এবং আরও কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবগুলোকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছিল। <ref>Douglas, Thomas 2002 ''Hacking Culture''</ref>
টেলর আরও বলেন,"হ্যাকাররা এমন বাচ্চাদের মতো যারা রেললাইনে দশ পেন্সের টুকরো রেখে দেখে যে এটি বাঁকছে কিনা। কিন্তু তারা বুঝতে পারে না যে তারা পুরো ট্রেনটি রেলিং থেকে নামিয়ে দেওয়ার ঝুঁকি নিচ্ছে"। হ্যাকারদের কীভাবে উপস্থাপন করা হয় তা দেখার একটি ভালো উপায় হলো "মিস্টার রোবট"। এটি এমন একটি প্রোগ্রাম যেখানে একদল হ্যাকার একটি বহুজাতিক কর্পোরেশনকে আক্রমণ করে বিশ্বকে ঋণমুক্ত করতে বদ্ধপরিকর। টেলর (১৯৯৯) উল্লেখ করেছেন,ব্যবসায়িক নীতিশাস্ত্রের একটি গবেষণার সময়, এমন কিছু বিষয় উঠে এসেছে যা দেখায় যে শিল্পের মধ্যে নীতিগত সিদ্ধান্তগুলো আরও কঠিন এবং বয়স্ক জনগোষ্ঠীর কাছ থেকে আসার প্রবণতা রয়েছে। কম্পিউটার শিল্পের সদস্যরা সাধারণত সাধারণ হ্যাকারদের তুলনায় বয়স্ক হন এবং কম্পিউটারকে তাদের দৈনন্দিন জীবনের একটি হাতিয়ার হিসেবে দেখেন, অন্যদিকে হ্যাকাররা কম্পিউটারকে একটি শখ হিসেবে দেখেন। এই বয়সের পার্থক্য সম্ভবত একটি কারণ যার জন্য নিরাপত্তা শিল্প এবং গোপন কম্পিউটারের সদস্যদের নীতিগত দৃষ্টিভঙ্গিতে মৌলিক পার্থক্য রয়েছে।
==== 'অলিখিত আইন' ====
অনেক কম্পিউটার ভক্ত এমন একটি কাঠামো অনুসরণ করেন যাকে অনেকে হ্যাকারদের বাইবেল বলে। এটি এমন কিছু অলিখিত নিয়মে। তারা বিশ্বাস করে এভাবেই সফটওয়্যার লেখা এবং সরবরাহ করা উচিত। তারা সেই অনুযায়ী আরও উন্মুক্ত এবং উদার কিছু পরিবর্তন করতে চায়। এটি মূলত সফটওয়্যারের সহজলভ্যতা এবং এটি ব্যবহার করতে ইচ্ছুক সকলের কাছে এর সহজলভ্যতার সাথে সম্পর্কিত। সকল তথ্য বিনামূল্যে থাকা উচিত। কর্তৃপক্ষের উপর অবিশ্বাস করুন, বিকেন্দ্রীকরণকে উৎসাহিত করুন। দ্বিতীয়ত এই ধারণাটি উপস্থাপন করে যে, বিশ্বজুড়ে বা এমনকি বিভিন্ন দেশে একাধিক সার্ভার থাকা উচিত। সেগুলোতে একই তথ্য জমা থাকবে, যাতে অন্য কোনও সফটওয়্যার এবং/অথবা প্রোগ্রাম ব্যর্থ হলে আপনি সর্বদা প্রাপ্যতা পেতে পারেন। একাধিক সার্ভার থাকার ফলে বৃহত্তর শ্রোতা তৈরি হবে। এর ফলে প্রোগ্রামগুলোতে সবার প্রাপ্যতা থাকার পাশাপাশি কর্মক্ষমতাও উন্নত মানের হবে। হ্যাকারদের বিচার করা উচিত তাদের হ্যাকিং দিয়ে; কোনো ডিগ্রি, বয়স, জাতি বা পদের মতো ভুয়া মানদণ্ড দিয়ে নয়। আমি বিশ্বাস করি এটি বিশেষ করে আধুনিক যুগ এবং সমাজের সাথে গভীরভাবে সম্পর্কিত যেখানে জীবনের সকল ক্ষেত্রেই সমতার জন্য লড়াই অব্যাহত রয়েছে। বিশেষ করে আজকের ডিজিটাল জগতে এমন অনেক তরুণ আছেন যারা অসাধারণ কোডিং তৈরি করতে সক্ষম যা একটি IOS সিস্টেমের মধ্যে একত্রিত করা যেতে পারে। এগুলো বিভিন্ন মাল্টি মিডিয়ামে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে পারে। আপনি কম্পিউটারে শিল্প ও সৌন্দর্য তৈরি করতে পারেন। এটি কম্পিউটিং জগতের সকল মাত্রার জন্য দায়ী, তা ডিজিটাল শিল্প, প্রোগ্রামিং, চলচ্চিত্র নির্মাণ হোক... তালিকাটি অন্তহীন। বলা বাহুল্য, সবই শিল্পের উপাদান। এগুলোকে হালকাভাবে নেওয়া উচিত নয়। কম্পিউটার জীবনকে আরও ভালোর দিকে বদলে দেয়। প্রযুক্তি ক্রমাগত বিকশিত হচ্ছে এবং উন্নতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা এখন বধির এবং অন্ধদের জন্য এমন ব্যবস্থা তৈরি করতে সক্ষম হয়েছি যা মিথস্ক্রিয়া এবং যোগাযোগের পাশাপাশি আরও অনেক কিছুতে সহায়তা করে যা অসংখ্য ব্যক্তি এবং পরিবারকে সহায়তা করে।
== ক্রিয়েটিভ কমন্স বনাম কপিরাইট ==
=== ক্রিয়েটিভ কমন্স কী? ===
২০০১ সালে লরেন্স লেসিগ, হাল অ্যাবেলসন এবং এরিক ইল্ড্রেড অলাভজনক সংস্থা '''ক্রিয়েটিভ কমন্স (CC)''' প্রতিষ্ঠা করেন। এটি অন্যদের জন্য উপলব্ধ সৃজনশীল কাজ বাড়ানোর জন্য চেষ্টা করছে। এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা আইনগতভাবে ভিত্তি করে তৈরি করতে এবং অন্যদের সাথে ভাগ করতে পারেন। ক্রিয়েটিভ কমন্স লাইসেন্সগুলি জনসাধারণের জন্য বিনামূল্যে প্রকাশিত হয়। ক্রিয়েটিভ কমন্স সম্পর্কিত প্রথম নিবন্ধটি একটি সাধারণ আগ্রহের প্রকাশনায় হাল প্লপকিনের “All Hail Creative Commons Stanford professor and author Lawrence Lessig plans a legal insurrection” (২০০২)-এ প্রকাশিত হয়। ২০০৪ সালের নভেম্বর পর্যন্ত প্রায় ৮৮০ মিলিয়ন কাজ ক্রিয়েটিভ কমন্স লাইসেন্সের আওতায় লাইসেন্সপ্রাপ্ত।<ref>[https://creativecommons.org/licenses] , About the Licenses – Creative Commons.</ref>
'''ক্রিয়েটিভ কমন্সের বিভিন্ন দিক'''
ক্রিয়েটিভ কমন্সের অনেক ধরণের আছে, যেগুলো আপনাকে বিভিন্ন উপায়ে একটি কাজ ব্যবহার করার সুযোগ দেয়। এটি ব্যক্তির লাইসেন্সের উপর নির্ভর করে। কারণ প্রতিটি কাজের সাথে আপনি কী করতে পারবেন এবং কী করতে পারবেন না তার নিয়ম রয়েছে। নিচে কয়েকটি তালিকাভুক্ত উদাহরণ দেওয়া হলো। মূলত স্কেল শর্তাবলী প্রদান করে, আপনি বিভিন্ন উপায়ে কিছু পুনঃব্যবহার করতে পারেন, সাধারণত এটি শর্তাবলীতে বর্ণিত থাকে। এটি ছোট মুদ্রণ নামেও পরিচিত।
'''পাবলিক ডোমেইন'''
পাবলিক ডোমেইন শব্দটি এমন সৃজনশীল উপকরণগুলোকে বোঝাতে ব্যবহৃত হয় যা সম্পত্তি আইন, কপিরাইট, ট্রেডমার্ক বা পেটেন্ট আইন দ্বারা সুরক্ষিত নয়। এই কাজগুলোর মালিক 'জনসাধারণ', কোনও একক ব্যক্তি নন। পাবলিক ডোমেইন উপকরণ ব্যবহারের জন্য অনুমতির প্রয়োজন নেই কারণ কেউ কখনও উপকরণের অধিকার দাবি করতে পারে না। <ref>[http://fairuse.stanford.edu/overview/public-domain/welcome/] , Copyright & Fair Use – Stanford University Libraries.</ref>
চারটি সাধারণ সম্ভাবনা রয়েছে যা উপকরণ বা পণ্যগুলোকে পাবলিক ডোমেইন করতে পারে: <ref>[http://fairuse.stanford.edu/overview/public-domain/welcome/] , Copyright & Fair Use – Stanford University Libraries (Extended).</ref>
* কপিরাইট মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে।
* কপিরাইট মালিক কপিরাইট নবায়ন নিয়মের পদ্ধতি সঠিকভাবে অনুসরণ করেননি।
* কপিরাইট মালিক ইচ্ছাকৃতভাবে একটি উপাদান বা পণ্য পাবলিক ডোমেইনে রাখেন।
* কপিরাইট আইন এই বিশেষ ধরণের উপাদানকে রক্ষা করতে পারে না।
কপিরাইট জনসাধারণের জন্য, যাতে তারা সফটওয়্যারটি ব্যবহার করতে পারে, কাজের অংশ... ইত্যাদি, যেমনটা তারা চায়। এর অর্থ হলো তারা এটি সম্পাদনা করতে এবং তাদের ইচ্ছামতো পুনরায় ব্যবহার করতে সক্ষম। এর একটি গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ হলো ওয়াল্ট ডিজনির মিকি মাউসের সৃষ্টি। মিকি মাউসের গ্রাফিক্স এবং ধারণাটি পাবলিক ডোমেইনে রয়েছে, অর্থাৎ বিবিসির মতো অন্যান্য সংস্থাগুলো যদি ইচ্ছা করে তবে এই ধারণাটি একটি স্কেচে ব্যবহার করতে পারে। এর মানে হলো, যদিও আমরা মিকি মাউসকে একটি কার্টুন শিশু ক্লাসিক হিসেবে যুক্ত করেছি, আমরা তাকে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের একটি স্কেচে দেখতে পাচ্ছি।
=== By ===
"By" আপনাকে একটি কাজকে আপনি যেভাবে চান তেমন করে রিমিক্স, সম্পাদনা এবং বিতরণ করার অনুমতি দেয়। তবে, আপনাকে বিবেচনা করতে হবে কাজটি কোথা থেকে এসেছে এবং মূল সৃষ্টিকারীর গুরুত্বকে স্বীকৃতি দিতে হবে।
'''অ্যাট্রিবিউশন'''
CC BY Attribution অন্যদের এমন কাজ বিতরণ, সম্পাদনা এবং যোগ করার সুযোগ দেয় যা ইতিমধ্যেই তৈরি করা হয়েছে, যতক্ষণ না তারা মূল লেখককে কৃতিত্ব দেয়। মূলত এটি সবচেয়ে সুবিধাজনক লাইসেন্স। এটি আপনাকে আপনার প্রয়োজন অনুসারে নিবন্ধটি তৈরি করতে সক্ষম করে।
'''অ্যাট্রিবিউশন-শেয়ারঅ্যালাইক'''
CC BY-SA এই লাইসেন্সটি আপনাকে অ্যাট্রিবিউশন লাইসেন্সিংয়ের মতোই কাজ করার সুযোগ দেয়, তবে এটি কেবলমাত্র বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে সম্পন্ন করা হয় এবং তারা তাদের নতুন সৃষ্টিগুলোকে একই শর্তে ক্রেডিট এবং লাইসেন্স দেয়। অ্যাট্রিবিউশন- শেয়ারঅ্যালাইককে প্রায়ই 'কপিলেফট' ফ্রি এবং ওপেন সফটওয়্যার লাইসেন্স বলা হয়। উইকিপিডিয়া এই ধরণের লাইসেন্স ব্যবহার করে।
'''অ্যাট্রিবিউশন-নোডেরিভস'''
CC BY-ND এই লাইসেন্সটি বাণিজ্যিক এবং অ-বাণিজ্যিক উভয় ক্ষেত্রেই পুনর্বণ্টনের সুযোগ দেয়, যতক্ষণ না এটি অপরিবর্তিত এবং সম্পূর্ণরূপে আপনার কৃতিত্বের সাথে পাস করা হয়।
'''অ্যাট্রিবিউশন-অ-বাণিজ্যিক'''
CC BY-NC অ্যাট্রিবিউশন-শেয়ারঅ্যালাইকের অনুরূপ, এই লাইসেন্সটি আপনাকে কাজ যোগ করতে, পরিবর্তন করতে এবং নির্মাণ করতে সক্ষম করে, তবে তা বাণিজ্যিক নয় এমন পরিবেশেও। নতুন সৃষ্টিকর্মকে আপনার পরিবর্তন এবং অ-বাণিজ্যিক উপাদান স্বীকার করতে হবে, তবে এটি একই লাইসেন্সের অধীনে হতে হবে না।
'''অ্যাট্রিবিউশন-ননকমার্শিয়াল-শেয়ারঅ্যালাইক'''
CC BY-NC-SA অ্যাট্রিবিউশন-ননকমার্শিয়ালের মতো মূল পার্থক্য হলো যে আপনাকে একই শর্তে নতুন কাজের লাইসেন্স দিতে হবে।
'''অ্যাট্রিবিউশন-ননকমার্শিয়াল-নোডেরিভস'''
CC BY-NC-ND এই লাইসেন্সটি সবচেয়ে সীমাবদ্ধ, শুধুমাত্র অন্যদের আপনার কাজ ডাউনলোড করতে এবং অন্যদের সাথে শেয়ার করতে দেয় যতক্ষণ না তারা মূল লেখককে কৃতিত্ব দেয়।
'''প্রভাব'''
ব্রাউসার্ড ক্রিয়েটিভ কমন্সকে কপিলেফট আন্দোলনের অগ্রভাগে বলে বর্ণনা করেছেন। এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে "সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত" কপিরাইটের একটি বিকল্প প্রদান করার চেষ্টা করছে (২০০৭)। বিকল্পভাবে, ডেভিড বেরি ক্রিয়েটিভ কমন্সকে বুদ্ধিজীবী সম্পত্তির বিষয়টিতে আগ্রহ তৈরি করার জন্য এবং "তথ্য যুগে" "কমন্স" এর ভূমিকা পুনর্বিবেচনা করার জন্য কৃতিত্ব দেন, তিনি বলেন "ক্রিয়েটিভ কমন্সে এমন প্রতিষ্ঠানিক, ব্যবহারিক এবং আইনগত সহায়তা রয়েছে যা افراد এবং গোষ্ঠীগুলোকে সংস্কৃতি নিয়ে আরও স্বাধীনভাবে পরীক্ষাগুলো এবং যোগাযোগ করতে চায়।" (বেরি, ডি, ২০০৫)। লেস্টিগ, অন্যদিকে আধুনিক সংস্কৃতিকে ঐতিহ্যবাহী কনটেন্ট বিতরণকারীদের দ্বারা আধিপত্যে ছিল বলে বর্ণনা করেছেন, সাংস্কৃতিক পণ্য যেমন সঙ্গীত এবং সিনেমার উপর মনোপলি বজায় রাখতে বা বৃহত্তর করতে, তিনি বলেছেন "ক্রিয়েটিভ কমন্স এই বিধিনিষেধগুলোর বিকল্প দিতে পারে" (লেস্টিগ, ২০০৬)।
== উন্মুক্ত উৎসের ও মালিকানাধীন সফটওয়্যারের উদাহরণ ==
=== ইউনিক্স এবং গ্নু ===
[http://www.unix.org/ ইউনিক্স] ১৯৬৯ সালে বেল ল্যাবসে তৈরি করা হয়েছিল এবং এটি কম্পিউটিং ইতিহাসের প্রাচীনতম অপারেটিং সিস্টেমগুলোর মধ্যে একটি। এটিই সেই ভিত্তি যার উপর Mac OS X নির্মিত। এটি অনেকগুলো ভিন্ন মেশিনে চালানো যেতে পারে, এবং ইউনিক্স কম্পিউটারগুলো নেটওয়ার্কগুলোতে একসাথে কাজ করতে পারে। ইউনিক্স ছিল একটি মালিকানাধীন সিস্টেম কারণ বেল ল্যাবস কপিরাইট সুরক্ষিত রেখেছিল যাতে এটি একটি বন্ধ সিস্টেম ছিল যা ভাগ করা যেত না। একটি সিস্টেমে কাজ করার জন্য ইউনিক্স কোডটি সোর্স কোড বই থেকে ম্যানুয়ালি প্রবেশ করতে হত। এটি আজ আমাদের কাছে অত্যন্ত অদক্ষ বলে মনে হয়।
উন্মুক্ত উৎসের নেটওয়ার্কের উন্নয়নে রিচার্ড স্টলম্যান ছিলেন মৌলিক ভূমিকা পালনকারী। তিনি ইউনিক্সকে আরও ভাগ করে নেওয়ার যোগ্য উন্মুক্ত সিস্টেমে রূপান্তর করতে চেয়েছিলেন। ১৯৮৪ সালে তিনি [http://www.fsf.org/ ফ্রি সফটওয়্যার ফাউন্ডেশন] (এফএসএফ) তৈরি করেন। এফএসএফ-এর মূল লক্ষ্য ছিল সফটওয়্যারকে আরও উন্মুক্ত এবং প্রাপ্যতাযোগ্য করে তোলা, ঠিক যেমন প্রাথমিক কম্পিউটিং বুদ্ধিমত্তা এবং বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার ভাগ করে নেওয়ার উপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। স্টলম্যান গ্নু ("গ্নু is not ইউনিক্স") আবিষ্কার করেন ইউনিক্সকে নতুনভাবে পুনর্নির্মাণ করে যাতে এটি উন্মুক্ত এবং ভাগ করে নেওয়া যায়, যাতে ব্যবহারকারীরা তাদের ইচ্ছামত কোডটি মানিয়ে নিতে এবং পরিবর্তন করতে পারে। গ্নু যে কোনও সিস্টেমে চলতে সক্ষম ছিল যা ইতিমধ্যেই ইউনিক্স সমর্থন করে। স্টলম্যান গ্নু-কে একটি নতুন সিস্টেমের অধীনে লাইসেন্স দিয়েছিলেন যার নাম জেনারেল পাবলিক লাইসেন্স (জিপিএল। এটি "কপিলেফট" নামেও পরিচিত) যাতে গ্নু-কে মালিকানাধীন সফটওয়্যারে পরিণত হতে না পারে।
=== লিনাক্সের সাফল্য ===
লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেম একটি উন্মুক্ত উৎসের প্রকল্পের একটি গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ যা ক্রমশ শক্তিশালী হচ্ছে। এই প্রকল্পের সহযোগিতার সম্ভাবনাগুলো নিজেই নেটওয়ার্কের শক্তির প্রতিনিধিত্ব করে। কারণ এর প্রাথমিক পর্যায়ে যখন খুব কম অবদানকারী অংশগ্রহণ করছিলেন তখনও তাদের সারা বিশ্বে পাওয়া যেত। এই ব্যবস্থার সাফল্যের পেছনে অনেকগুলো কারণ রয়েছে, যেমন সম্পত্তির অধিকারের প্রতি বিশেষ দৃষ্টিভঙ্গি যা এর লাইসেন্স গঠন করে। লিনাক্সের [[গ্নু জেনারেল পাবলিক লাইসেন্স|জেনারেল পাবলিক লাইসেন্স]] (জিপিএল) সিস্টেমের ক্রমাগত উন্নয়নকে এর উপর ভিত্তি করে তৈরি হিসেবে স্বীকৃতি দেয়, তবে এটি পুনর্বণ্টনের সময় এর উপর কোনও বিধিনিষেধ আরোপের সুযোগ দেয় না। এটি বার্কলে সফটওয়্যার ডিস্ট্রিবিউশন (বিএসডি) লাইসেন্সের একটি বিকল্প। এটি প্রোগ্রামারদের সিস্টেম উন্নত করার জন্য একই স্বাধীনতা প্রদান করে না।
লিনাক্সের সাফল্যের আরেকটি কারণ হলো প্রকল্পের জন্য অব্যাহত, ঐক্যবদ্ধ সমর্থন। এটি প্রকল্প নেতাদের দ্বারা গৃহীত সিদ্ধান্ত এবং নিয়ম প্রত্যাখ্যান করার ঝুঁকি সম্পর্কে বোঝার কারণে। যারা প্রস্তাবিত কোড পরিবর্তন গ্রহণ করতে ব্যর্থ হন, তাদের জন্য প্রাথমিক প্রকল্প থেকে আলাদা হয়ে তাদের পরিবর্তনগুলো বাস্তবায়িত করে একটি নতুন প্রকল্প স্থাপন করার সুযোগ রয়েছে, যাকে "ফর্কিং" বলা হয়। <ref>Weber, S. (2004). ''Success of Open Source.'' Cambridge: Harvard University Press, p.64</ref> যদিও কিছু ডেভেলপার এটিকে উন্মুক্ত উৎসের প্রোগ্রামিংয়ের একটি অপরিহার্য অধিকার হিসেবে দেখেন, তবুও এই প্রক্রিয়ায় ঝুঁকি রয়েছে। লিনাক্সের ক্ষেত্রে, প্রলিফিক ফর্কিং কর্মীদের বিভক্ত করার এবং সামগ্রিক উৎপাদনশীলতা হ্রাস করার ঝুঁকি বহন করে। অধিকন্তু, আরও প্রকল্পের সাথে সাথে একটি প্রকল্পে উল্লেখযোগ্য সমস্যা দেখা দেওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। এটি প্রতিটি প্রকল্পের উপর খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে, ফর্কিংয়ের মাধ্যমে উদ্ভূত প্রকল্প থেকে শুরু করে প্রাথমিক প্রকল্প পর্যন্ত। <ref>Weber, S. (2004). ''Success of Open Source.'' Cambridge: Harvard University Press, p.159</ref> দক্ষতা এবং উৎপাদনশীলতার এই ভাঙ্গনের ফলে বেশ কয়েকটি প্রকল্প, সম্ভবত সবগুলোই ব্যর্থ হতে পারে। লিনাক্সের দীর্ঘ জীবনকাল এবং অব্যাহত, দীর্ঘমেয়াদী সহযোগিতার সম্ভাবনা উপরে উল্লিখিত ঝুঁকিগুলোর জন্য ঝুঁকি নেওয়ার প্রবণতাকে নিরুৎসাহিত করে, তাই এটি এখনও পর্যন্ত এটির অভিজ্ঞতা লাভ করেনি। <ref>Weber, S. (2004). ''Success of Open Source.'' Cambridge: Harvard University Press, p.159</ref>
উন্মুক্ত উৎসের ফরম্যাটের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সুবিধা থেকে লিনাক্সও উপকৃত হয়। ঐতিহ্যবাহী মালিকানাধীন ব্যবস্থায়, প্রত্যেকের কাছ থেকে প্রায় সমান পরিমাণে কাজের অবদান আশা করা হয়। তবে ওপেন সোর্সে, অবদানকারীদের একটি ছোট শতাংশের জন্য কাজের একটি বড় অংশ সম্পাদন করা সাধারণ, এবং বিপুল সংখ্যক অপ্রাপ্তবয়স্ক অবদানকারীদের জন্য কেবল এক বা দুটি অবদান রাখা স্বাভাবিক। তবুও, জর্ডান যুক্তি দেন যে একটি উন্মুক্ত উৎসের প্রকল্পের প্রেক্ষাপটে, একজন ব্যক্তি এমন একটি কাজ সম্পন্ন করতে পারেন যা অন্যথায় সম্পন্ন নাও হতে পারে। যদি একজন ব্যক্তি মাত্র একটি অবদানের মাধ্যমেও গ্রুপ প্রকল্পের উন্নতি করেন, তাহলে সকলেই আরও ভালো পণ্য পেয়ে উপকৃত হবেন।
পরিসংখ্যান থেকে জানা যায় যে ইন্টারনেটের ৩৬.২% ওয়েবসাইট লিনাক্স ব্যবহার করে। এরিকের মতে, লিনাক্স একটি বিকেন্দ্রীভূত উন্নয়ন পদ্ধতি [http://www.fao.org/docs/up/easypol/342/decen_dev_in_agri_012en.pdf] গ্রহণ করেছে। "ক্যাথেড্রাল অ্যান্ড দ্য বাজার" এবং অনুরূপ কাজে এস রেমন্ডের পরীক্ষা। এই পদ্ধতির ফলে অবদানকারীরা একটি সংবেদনশীলহীন সাংগঠনিক কাঠামোর মধ্যে ক্রমাগত কাজ করতে সক্ষম হন। লিনাক্সের অপারেটিং সিস্টেমের বৈশিষ্ট্যগুলোও এর সাফল্য বিশ্লেষণ করার সময় বিবেচনা করার মতো আরেকটি সম্ভাব্য কারণ। লিনাক্স এবং ইউনিক্সের মতো অন্যান্য অপারেটিং সিস্টেমের মধ্যে প্রযুক্তিগত বৈপরীত্য রয়েছে যা লিনাক্সের সাফল্য নিয়ে আলোচনা করার সময় মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ। একটি নির্দিষ্ট উৎস অনুসারে, কার্নেলের গণিত কোপ্রসেসর ব্যবহার না করেই 387-FPU নির্দেশাবলী এবং সিস্টেম অনুকরণ করার ক্ষমতা রয়েছে এবং একাধিক প্রোগ্রাম চালানোর ক্ষমতা রয়েছে যার জন্য ফ্লোট-পয়েন্ট গণিত ক্ষমতার একটি স্তর প্রয়োজন। লিনাক্স ডেটা স্টোরেজের জন্য বিভিন্ন ফাইল সিস্টেম সমর্থন করে, এবং ext2 ফাইল সিস্টেমের মতো। এটি বিশেষভাবে লিনাক্সের জন্য তৈরি করা হয়েছিল।
=== অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস ===
==== অ্যান্ড্রয়েডের উন্নয়ন ====
[[চিত্র:Android_robot.png|থাম্ব| অ্যান্ড্রয়েড লোগো]]
২০০৭ সালের ৫ নভেম্বর তারিখে গুগলের মোবাইল ফোন অপারেটিং সিস্টেম [[Android(operating system)|অ্যান্ড্রয়েড]] সর্বজনীনভাবে আত্মপ্রকাশ করে। এর বিশ্বব্যাপী প্রবর্তন [[ওপেন হ্যান্ডসেট অ্যালায়েন্স|ওপেন হ্যান্ডসেট অ্যালায়েন্সের]] সৃষ্টি এবং প্রবর্তনের সাথেও সম্পর্কিত। কোম্পানিগুলোর একটি কনসোর্টিয়াম যারা তাদের পণ্যগুলোতে নতুন তৈরি অ্যান্ড্রয়েড সফটওয়্যার প্রয়োগ করে। কনসোর্টিয়ামটি জনসমক্ষে প্রকাশিত হওয়ার সময় এর ৩৪ সদস্যের তালিকায় টি-মোবাইল, [[স্যামসাং ইলেকট্রনিক্স]], [[এইচটিসি]] এবং [[সনি|সনির]] মতো কোম্পানিগুলো অন্তর্ভুক্ত ছিল। পরবর্তী বছরগুলোতে, [[তোশিবা]], এসার এবং [[ভোডাফোন|ভোডাফোনের]] মতো কোম্পানিগুলো যোগদানের সাথে সাথে সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। <ref>http://www.cnet.com/uk/news/googles-open-handset-alliance-gains-14-new-members/</ref> এই জোটটি ছিল গুগলের অ্যান্ড্রয়েডকে একটি উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যার হিসেবে বিকাশের সিদ্ধান্তের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপজাত।
রিচ মাইনার, [[অ্যান্ডি রুবিন]] এবং নিক সিয়ার্সকে সাধারণত অ্যান্ড্রয়েডের উদ্ভাবক হিসেবে কৃতিত্ব দেওয়া হয়। <ref>http://uk.businessinsider.com/how-android-was-created-2015-3?r=US&IR=T</ref> ২০০৫ সালে গুগল কর্তৃক কেনার আগে তারা একসাথে একটি ছোট কোম্পানি, Android.inc, হিসেবে অ্যান্ড্রয়েডে কাজ করেছিল। তাদের অধিগ্রহণের পর উপলব্ধ তহবিল বৃদ্ধি এবং প্রচুর নতুন সম্পদের আধিক্য উন্নয়ন প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে। দুই বছর পর প্রথম সর্বজনীনভাবে উপলব্ধ অ্যান্ড্রয়েড সফটওয়্যার তৈরি করা হয়। গুগল মূলত অ্যাপলের আইওএস-এর উন্নয়নের বিরোধিতা করে অপারেটিং সিস্টেমটি তৈরি করেছিল। ২০১০ সালে গুগলের আই/ও সম্মেলনের মূল বক্তৃতায়, গুগলের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট সোশ্যাল ভিক গুন্ডোত্রা দাবি করেছিলেন, "আমরা যদি পদক্ষেপ না নিই, তাহলে আমরা এক ভয়াবহ ভবিষ্যতের মুখোমুখি হব যেখানে একজন মানুষ, একজন ফোন, একজন ক্যারিয়ারই হবে ভবিষ্যৎ। এমন একটি ভবিষ্যৎ আমরা চাই না।" <ref>http://www.theatlantic.com/technology/archive/2013/12/the-day-google-had-to-start-over-on-android/282479/</ref>
অ্যান্ড্রয়েড প্রকাশের প্রায় এক বছর আগে, [[স্টিভ জবস]] ৯ জানুয়ারি, ২০০৭ তারিখে অ্যাপল আইফোন চালু করেছিলেন। গুগলের ভেতরে এই ঘোষণার প্রতিক্রিয়া ছিল অবাক করার মতো। গুগলের একজন কর্মচারী, ক্রিস ডিসালভো মন্তব্য করেছেন;<div align="center">
'''"একজন ভোক্তা হিসেবে আমি অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। আমি তাৎক্ষণিকভাবে একটি চাইছিলাম। কিন্তু একজন গুগল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে, আমি ভেবেছিলাম 'আমাদের নতুন করে শুরু করতে হবে। নব্বইয়ের দশকে আমরা যা হঠাৎ করে দেখেছিলাম তা এমন একটি জিনিস যা দেখলেই স্পষ্ট হয়ে ওঠে।"'''
</div>এই ঘোষণা অনুসারে অ্যান্ড্রয়েড ইঞ্জিনিয়ারদের দ্বারা তাড়াতাড়ি কিছু পরিবর্তন করা হয়। বিশেষ করে তাদের পণ্যে 'টাচস্ক্রিন' যুক্ত করা হয়। যদিও অ্যাপলের ঘোষণা অ্যান্ড্রয়ের আগে এসেছিল। এটি তাদের বাজারে সাময়িকভাবে লাভবান করতে সুবিধা দিয়েছিল। বিষয়টি অ্যান্ড্রয়েরডের একটি সুবিধাজনক অবস্থান হিসেবে দেখা হয়। কারণ এর ফলেঅ্যাপল কী মিস করেছে তা অ্যান্ড্রয়েরডের ইঞ্জিনিয়ারদেরকে দেখার সুযোগকরে দেয়।
অ্যান্ড্রয়েড উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যার লিনাক্সের উপর ভিত্তি করে তৈরি। ফলে এর সোর্স কোড সকলের জন্য প্রাপ্যতাযোগ্য করে তোলে, অ্যান্ড্রয়েডের লিনাক্স পিসিতে আমরা যে লিনাক্স ব্যবহার করি তার থেকে ভিন্নভাবে কাজ করে। পিসির মতো অ্যান্ড্রয়েড লিনাক্স কার্নেল সংস্করণের একটি পরিবর্তিত সংস্করণ ব্যবহার করে।তবে একই সংস্করণ নয়। অ্যান্ড্রয়েডের জন্য লিনাক্স স্মার্টফোনের কথা মাথায় রেখে ডিজাইন করা হয়েছে ।তাই মূল কার্নেলে অন্যান্য সমন্বয়ের সাথে টাচ-স্ক্রিন প্রোগ্রামিং যোগ করা হয়েছে। নিচে কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপাদানের তালিকা দেওয়া হলো।
* অ্যালার্ম ড্রাইভার: ডিভাইসগুলোকে ঘুম থেকে জাগানোর জন্য টাইমার সরবরাহ করে
* Ashmem: অ্যাপ্লিকেশনগুলোকে মেমরি ভাগ করে নেওয়ার সুযোগ দেয় এবং কার্নেল স্তরে ভাগ করে নেওয়ার ব্যবস্থা করে।
* বাইন্ডার ড্রাইভার: আন্তঃ-প্রক্রিয়া যোগাযোগ সহজতর করে কারণ শেয়ার্ড মেমোরি ব্যবহারের মাধ্যমে একাধিক অ্যাপ্লিকেশন দ্বারা ডেটা ভাগ করা যায়। IPC হিসেবে নিবন্ধিত একটি পরিষেবা
পরিষেবা প্রদানকারীদের বিভিন্ন থ্রেড নিয়ে চিন্তা করতে হবে না কারণ বাইন্ডার সেগুলো পরিচালনা, পর্যবেক্ষণ এবং পরিচালনা করবে। বাইন্ডার প্রক্রিয়াগুলোর মধ্যে সিঙ্ক্রোনাইজেশনেরও যত্ন নেয়।
* পাওয়ার ম্যানেজমেন্ট: স্ট্যান্ডার্ড লিনাক্স পাওয়ার ম্যানেজমেন্ট (PM) এর উপরে তৈরি এবং
বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনা এবং সাশ্রয়ের জন্য আরও আক্রমণাত্মক নীতি গ্রহণ করুন। <ref>http://www.handycodeworks.com/wp-content/uploads/2011/02/linux_versus_android.pdf</ref>
গুগল কেন অ্যান্ড্রয়েডকে একটি উন্মুক্ত উৎসের অপারেটিং সিস্টেম বানিয়েছে তা বিতর্কের বিষয়। বিরোধীরা যুক্তি দেন যে সিদ্ধান্তটি মূলত আর্থিক ভিত্তিক ছিল। উন্মুক্ত উৎসের প্রযুক্তির লাভ-ভিত্তিক একাধিক সুবিধা রয়েছে। এটি মূলত সিস্টেমের ব্যাপক জনপ্রিয়তার কারণে। এটি গুগলের নাগাল আরও বাড়িয়ে তোলে এবং তাদের ভোক্তা জনসংখ্যার পরিধি প্রসারিত করে। তবে তাদের ওয়েবসাইটে, অ্যান্ড্রয়েড ব্যাখ্যা করেছে কেন তারা একটি উন্মুক্ত উৎসের সিস্টেম ব্যবহার করে;
'''"অ্যান্ড্রয়েডের প্রাথমিক উদ্দেশ্য হলো ক্যারিয়ার, ওইএম এবং ডেভেলপারদের জন্য একটি উন্মুক্ত সফটওয়্যার প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা যাতে তারা তাদের উদ্ভাবনী ধারণাগুলোকে বাস্তবে রূপ দিতে পারে এবং একটি সফল, বাস্তব-বিশ্বের পণ্য প্রবর্তন করতে পারে যা ব্যবহারকারীদের জন্য মোবাইল অভিজ্ঞতা উন্নত করে। আমরা আরও নিশ্চিত করতে চেয়েছিলাম যে ব্যর্থতার কোনও কেন্দ্রীয় বিন্দু নেই, যেখানে একজন শিল্প খেলোয়াড় অন্য কারও উদ্ভাবনকে সীমাবদ্ধ বা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।"''' <ref>https://source.android.com/source/</ref>
==== আইওএসের উন্নয়ন ====
[[চিত্র:Steve_Jobs_presents_iPhone.jpg|থাম্ব| স্টিভ জবস আইফোন উপস্থাপন করছেন]]
অ্যাপলের মোবাইল ফোন অপারেটিং সিস্টেম, [[আইওএস]]। এটি পূর্বে ওএস নামে পরিচিত ছিল, ৯ জানুয়ারি, ২০০৭ সালে আইফোন প্রবর্তনের মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ করে। প্রথম আইফোনগুলো সেই গ্রীষ্মের পরে বিক্রি শুরু হবে। আইওএসের নকশা অ্যাপল ম্যাকিনটোশের অপারেটিং সিস্টেম ওএস এক্স-এর উপর ভিত্তি করে তৈরি। স্টিভ জবস কর্তৃক আইপড প্রোগ্রামিং এবং ম্যাকিনটোশ প্রোগ্রামিংয়ের মধ্যে একটি প্রতিযোগিতার পর এই সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে ম্যাকিনটোশ ভিত্তিক একটি সিস্টেমই সবচেয়ে উপযুক্ত। ম্যাকিনটোশ দলের নেতৃত্বে ছিলেনস্কট ফরস্টল। তাকে অ্যাপ স্টোর তৈরি এবং বিকাশের জন্য কৃতিত্ব দেওয়া হয়। <ref>http://www.bloomberg.com/news/articles/2011-10-12/scott-forstall-the-sorcerers-apprentice-at-apple</ref>
আইওএস একটি মালিকানাধীন অপারেটিং সিস্টেম এবং তাই এর সোর্স কোড প্রাপ্যতাযোগ্য বা পরিবর্তনযোগ্য নয়। অ্যাপলই একমাত্র কোম্পানি যার পণ্যে আইওএস ব্যবহারের সুযোগ এবং বৈধতা রয়েছে। অপারেটিং সিস্টেম পরিবর্তনের ক্ষেত্রে ব্যবহারকারীদের সীমিত প্রাপ্যতাের কারণে, জেলব্রেকিংয়ের প্রক্রিয়াটি জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে অ্যান্ড্রয়েডের মতো অপারেটিং সিস্টেমে বিরোধী সফটওয়্যারের উপাদান রয়েছে, এই ক্ষেত্রে ওপেন সোর্স। এমন দাবি করা হয়েছে যে স্টিভ জবস আসলে ওপেন সোর্সের একজন পথিকৃৎ ছিলেন। আইওএস-ভিত্তিক ম্যাক অপারেটিং সিস্টেমটি নিজেই ডারউইনের উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যারের উপর ভিত্তি করে তৈরি। ডারউইন ২০০৩ সালে অ্যাপল দ্বারা একটি বিনামূল্যের এবং উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যার লাইসেন্সের অধীনে প্রকাশিত হয়েছিল। অধিকন্তু, স্টিভ জবস দাবি করেছেন যে অ্যান্ড্রয়েড "আসলে তেমন খোলা নয়" তিনি উল্লেখ করেছেন যে কিছু মোবাইল ডিভাইস কোম্পানি যেমন এইচটিসি তাদের ইন্টারফেসে মালিকানাধীন সফটওয়্যার ব্যবহার করেছে। তিনি এতে অসন্তোষ প্রকাশ করেন কারণ এর ফলে ব্যবহারকারীদের নিজেরাই এটি সমাধান করতে হয়। এটিকে অ্যাপল মালিকানাধীন সফটওয়্যার বাস্তবায়নের অন্যতম কারণ হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে; ডিভাইসের ব্যবহারকারী-বান্ধবতা উন্নত করার জন্য।
অ্যান্ড্রয়েডের মতোই, যুক্তি দেওয়া হয় যে এই সিদ্ধান্তটি মূলত আর্থিক ভিত্তিক ছিল। সফটওয়্যারটির কপিরাইট করার মাধ্যমে তারা অন্যান্য কোম্পানিগুলোকে এটি ব্যবহার থেকে বিরত রাখে, তাই যারা ইন্টারফেসটি উপভোগ করেছেন তাদের অ্যাপল পণ্য কিনতে হবে। অ্যাপল স্বীকার করেছে যে অনলাইন সম্প্রদায়ের মধ্যে, বিশেষ করে হ্যাকার সম্প্রদায়ের মধ্যে, প্রোপ্রাইটারিকে অবজ্ঞা করা হয়, তাই তারা টাচস্ক্রিন এবং হোম বোতামের মতো নির্দিষ্ট উদ্ভাবনী বৈশিষ্ট্যগুলোর উপর IOS প্রকাশের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করেছে। মালিকানাধীন সমালোচকরা যুক্তি দেন যে উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যার অ্যাপলের জন্য অনিবার্য। <ref>http://www.wired.com/2015/06/open-sourcing-no-longer-optional-not-even-apple/</ref> তাদের যুক্তি হলো, অ্যাপল যদি প্রতিটি নতুন সংস্করণের সাথে মালিকানার মাত্রা বৃদ্ধি করতে থাকে, তাহলে তারা তাদের জনপ্রিয় অ্যাপ্লিকেশনগুলোর বেশিরভাগের জন্য নির্ভরশীল ডেভেলপারদের বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার ঝুঁকিতে পড়বে। মাইক্রোসফটের লিনাক্সের সাম্প্রতিক গ্রহণযোগ্যতা অ্যাপলের উপর আরও চাপ সৃষ্টি করেছে কারণ মাইক্রোসফটের মালিকানাধীন সফটওয়্যারের সাথে দীর্ঘদিনের মৌলিক সম্পর্ক রয়েছে।
==== বিতর্কের ভূমিকা ====
বিপরীত অপারেটিং সিস্টেমগুলোকে ঘিরে বিতর্কের ব্যবহারিক এবং আদর্শিক উভয় দিক থেকেই গুরুত্ব রয়েছে। ব্যবহারিকতার বিষয়গুলো অনলাইন ফোরামগুলোতে প্রাধান্য পায় এবং প্রায়ই উভয়ের মধ্যে তুলনা করা হয়। ব্যবহারকারী-বান্ধবতা, গোপনীয়তা, নিরাপত্তা, কাস্টমাইজেবিলিটি এবং অ্যাপ্লিকেশনগুলো সরাসরি অপারেটিং সিস্টেমের প্রকৃতি দ্বারা প্রভাবিত হয়, তা মালিকানাধীন হোক বা ওপেন সোর্স। সাধারণ জনগণের কাছে এগুলো বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে হয়। কিন্তু কিছু মানুষের কাছে, বিশেষ করে হ্যাকার সম্প্রদায় এবং ইন্টারনেট কর্মীদের মধ্যে যারা আছেন তাদের কাছে, বিপরীত অপারেটিং সিস্টেমগুলো বিপরীত মতাদর্শের প্রতিনিধিত্ব করে। অ্যান্ড্রয়েডকে 'জনস্বার্থ' হিসেবে দেখা হয়, যেখানে আইওএস 'মানুষের স্বার্থের' প্রতিনিধিত্ব করে। মাইক্রোসফটের গবেষণা সমাজবিজ্ঞানী মার্ক এ. স্মিথ ব্যাখ্যা করেছেন কিভাবে এই দুটির মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখার প্রয়োজন। তিনি "মুক্ত রাইডার" ধারণাটি বর্ণনা করেছেন যারা জনসাধারণের কল্যাণে অবদান না রেখেই তা ব্যবহার করে। এই ধারণাটি বেশিরভাগ অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীদের জন্য প্রযোজ্য হবে যারা সোর্স কোড প্রাপ্যতা বা পরিবর্তন করেন না।
বিরোধী মতাদর্শের পাশাপাশি এটি বিরোধী [[বিবর্তন|বিবর্তনীয় ব্যাখ্যার]] প্রতিনিধিত্ব করে। এমন ধারণা রয়েছে যে প্রতিযোগিতাই ছিল বিবর্তনের একমাত্র চালিকা শক্তি। এটি আইওএস এবং মালিকানাধীন সফটওয়্যারকে সমাজের জন্য সাধারণত উপকারী হিসাবে ব্যাখ্যা করবে। এর বিরোধিতা করা হয় এই দাবির মাধ্যমে যে সহযোগিতা বিবর্তনের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক এবং বর্ধিত প্রাণীজগতেও এটি প্রতিনিধিত্ব করে। <ref>Rheingold, H. (2003). Smart mobs. Cambridge, MA: Perseus Pub. pg39</ref> লিনাক্সকে বর্ণনা করা হয়েছে, "ডেভেলপারদের দ্বারা প্রবর্তিত মিউটেশনের উপর এক ধরণের দ্রুত ডারউইনীয় নির্বাচন তৈরি করা।" "
অনেক দিক থেকেই অপারেটিং সিস্টেমের স্পষ্ট উল্লেখ ছাড়াই জনপ্রিয় বিতর্কটি ঘটেছে। দুটি সর্বাধিক জনপ্রিয় অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে তারা তাদের নিজস্ব ফ্যান ওয়েবসাইট এবং মিটআপের মাধ্যমে উৎসাহী ভক্তদের আকর্ষণ করেছে। সিস্টেমগুলো গুগল এবং অ্যাপলের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্বদের, যেমন স্টিভ জবসের সাথে সেলিব্রিটির লড়াইয়ে প্রবেশ করেছে, অপারেটিং সিস্টেমের চেয়ে বেশি বিখ্যাত হয়ে উঠেছে। নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক এরিক রোবেলস-অ্যান্ডারসন এবং অন্যান্যরা অ্যাপলকে একটি ' ধর্ম-সংস্কৃতি ' হিসেবে বর্ণনা করেছেন। <ref>http://www.techinsider.io/nyu-professor-says-apple-is-a-cult-2015-9</ref> এটিই ছিল 'ম্যাকহেডস' তথ্যচিত্রের ভিত্তি। অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস-এর এখন বিশাল সংখ্যক প্রতিষ্ঠিত ভক্ত রয়েছে যারা তাদের নিজ নিজ অপারেটিং সিস্টেমের প্রতি অনুগত এবং একে অপরের পণ্য কিনবে না <ref>http://www.telegraph.co.uk/technology/apple/10632787/iPhone-owners-admit-having-blind-loyalty-to-Apple.html</ref>
==== অ্যান্ড্রয়েডের সুবিধা এবং সমালোচনা ====
'''প্রাপ্যতা এবং সামঞ্জস্য'''
ব্যবহারকারীদের কাছে এর বিশাল প্রাপ্যতার জন্য অ্যান্ড্রয়েড ধারাবাহিকভাবে প্রশংসিত হয়। এটি এর উন্মুক্ত উৎসের বৈশিষ্ট্যের প্রত্যক্ষ ফলাফল। অনেক কোম্পানি তাদের পণ্যে অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহার করে। এর ফলে গ্রাহকরা আইওএস পরিচালিত পণ্যের তুলনায় ফোন এবং ট্যাবলেটের একটি উল্লেখযোগ্য বিস্তৃত নির্বাচন থেকে পছন্দ করতে পারেন। বিপুল সংখ্যক অ্যান্ড্রয়েড প্রস্তুত ডিভাইসের কারণে পরবর্তীতে অ্যান্ড্রয়েড ৮০% এরও বেশি শেয়ার নিয়ে বাজারে আধিপত্য বিস্তার করতে সক্ষম হয়েছে। <ref>http://www.idc.com/prodserv/smartphone-os-market-share.jsp</ref> এটি সাধারণত (অ্যাপাচি সফটওয়্যার লাইসেন্স ২.০ (এপিএল২.০), একটি বিনামূল্যের সফটওয়্যার লাইসেন্সের অধীনে পরিচালিত লাইসেন্সের কারণে, নির্মাতারা তাদের নিজস্ব স্পেসিফিকেশন অনুসারে সোর্স কোড পরিবর্তন করতে পারে। <ref>http://www.idc.com/prodserv/smartphone-os-market-share.jsp</ref> এইভাবে অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীরা নির্মাতার উপর নির্ভর করে ভিন্ন অভিজ্ঞতা পেতে পারেন। এটি বৈচিত্র্য এবং পছন্দ বৃদ্ধির কারণে উপকারী বলে মনে করা হয়, তবে বিভিন্ন অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং ডিভাইসের মধ্যে মানের বৈষম্যের জন্য এটি সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছে।
'''কাস্টমাইজেবিলিটি'''
অ্যান্ড্রয়েডে, কাস্টমাইজেশনকে প্রকাশ্যে উৎসাহিত করা হয় এবং তাই এটি অনেক হ্যাকারের কার্যত পছন্দ। কাস্টমাইজেশনের এই সুযোগটি ব্যাপক, যেখানে ব্যবহারকারীরা আরও জটিল কাজ করতে পারবেন, যেমন সোর্স কোডে অবদান রাখা এবং প্রচলিত কাস্টমাইজেশনের ত্রুটিগুলো সনাক্ত করা, যেমন টোয়াইলাইট এবং এয়ারড্রয়েডের মতো অ্যাপ ইনস্টল করা এবং অ্যাপ আইকন পরিবর্তন করা। সোর্স কোডটি উপলব্ধ এবং ব্যবহারকারীদের ইচ্ছানুযায়ী ব্যবহার করার জন্য প্রস্তুত। কাস্টমাইজেশনের সাথে এর ইতিবাচক প্রভাবের দুটি ধারণা রয়েছে; অভ্যন্তরীণ এবং বাহ্যিক। অভ্যন্তরীণ বলতে ব্যবহারকারীর নিজস্ব কাস্টমাইজেশন সম্পাদনের মাধ্যমে অর্জিত সন্তুষ্টি বোঝায়, অন্যদিকে বহির্মুখী বলতে কাস্টমাইজেশনের ফলে হওয়া উন্নতির মাধ্যমে ব্যবহারকারীর সন্তুষ্টি বোঝায় ঠিক যেমন আপনি অ্যাপ ডিজাইন করতে এবং [[গুগল প্লে|গুগল প্লে স্টোরে]] অফার করতে সক্ষম হন, আপনি স্টোরের সোর্স কোডও পরিবর্তন করতে পারেন। এই উন্মুক্ততার ফলে অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ ডাউনলোডের সংখ্যা আইওএস-এর চেয়ে বেশি হয়ে গেছে, যদিও এটি অ্যান্ড্রয়েড এবং অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ ডেভেলপারদের উপর একটি বড় নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে: রাজস্ব হ্রাস। গুগল প্লে অ্যাপলের [[App store (IOS)|অ্যাপ স্টোরের তুলনায় ৭০% কম আয় করে।]]
'''ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা'''
অ্যান্ড্রয়েডের সাথে সঠিক ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা নির্মাতাদের মূল সোর্স কোডের পরিবর্তনের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হয়, যদিও প্রযুক্তি সম্প্রদায়ে সাধারণীকরণ করা যেতে পারে এবং করা হয়েছে। অ্যান্ড্রয়েডের খ্যাতি আইওএসের মতো 'পরিষ্কার' না হওয়া এবং 'খাটো' হওয়ার জন্য উন্মুক্ত উৎসের উৎসের কারণে, এর নকশাটি তার প্রতিযোগীর মতো পরিশীলিত বলে বিবেচিত হয় না এবং 'কার্টুনিশ' হওয়ার জন্য আরও সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছে। অন্যান্য অপারেটিং সিস্টেমের সাথে অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতার তুলনা করে করা একটি জরিপে দেখা গেছে যে এটি IOS এর তুলনায় কম স্কোর করেছে (৫৭.২৫ থেকে ৭৩.২৫) ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো প্রাথমিকভাবে ব্যবহারের সহজতা, বিশেষ করে একজন অ-প্রযুক্তিগত ব্যবহারকারীর জন্য। আরেকটি জরিপে দেখা গেছে যে অ্যান্ড্রয়েডের জ্ঞানীয় লোড সবচেয়ে বেশি, সংশ্লিষ্ট IOS এর তুলনায় চার গুণ বেশি। ধারণা করা হচ্ছে,অ্যান্ড্রয়েড স্বাভাবিকভাবে ব্যবহার করতে আইওএসের তুলনায় বেশি সময় নেয়।
'''গোপনীয়তা'''
অ্যান্ড্রয়েড বিজ্ঞাপন লাইব্রেরিগুলোর উপর গবেষণায় দেখা গেছে যে বিজ্ঞাপনগুলো ব্যবহারকারীর অবস্থান, পরিচিতি, ফোন নম্বর সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহ করতে পারে এবং এমনকি ক্যামেরা এবং মাইক্রোফোনেও প্রাপ্যতা পেতে পারে এটি বিজ্ঞাপনগুলোকে সংগৃহীত তথ্যের উপর ভিত্তি করে তাদের ব্যবহারকারীকে আরও ভালভাবে লক্ষ্য করতে দেয়। যখন কোনও বিজ্ঞাপন আপনার নাম, ঠিকানা এবং সহযোগীদেরও শনাক্ত করতে সক্ষম হয়, তখন এটি আরও গুরুতর গোপনীয়তার সমস্যা হয়ে উঠতে পারে। এটি অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস প্ল্যাটফর্মের জন্য একটি সমস্যা। দেখা গেছে যে গ্রাহকরা প্রায়ই ডিফল্ট গোপনীয়তা বিকল্পগুলোতে সম্মতি জানান। এর ফলে গোপনীয়তা কর্মীরা 'অপ্ট ইন' বৈশিষ্ট্যের জন্য প্রচারণা চালাচ্ছেন, যেমনটি ইইউতে দেখা যায়। এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা একটি বিজ্ঞাপনের প্রাপ্যতা সম্পর্কে আরও স্বচ্ছ ধারণা দিচ্ছেন। যদিও অ্যাপের গোপনীয়তার স্পেসিফিকেশনের জন্য অ্যান্ড্রয়েড সমালোচিত হয়েছে, তবুও অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস উভয়কেই এই আইনগুলো মেনে চলতে হবে। এটি ব্যবহারকারীকে অ্যাপের গোপনীয়তা চুক্তি গ্রহণ বা প্রত্যাখ্যান করার সুযোগ দেয় কিন্তু পরবর্তী সময়ে এতে কোনও পরিবর্তন আনে না। বিপরীতে, IOS ব্যবহারকারীকে গোপনীয়তা চুক্তি গ্রহণের পরে একটি অ্যাপের নির্দিষ্ট প্রাপ্যতা নিষ্ক্রিয় করার সুযোগ দেয়, যেমন ক্যামেরা প্রাপ্যতা নিষ্ক্রিয় করা।
'''ওয়েব ব্রাউজার'''
অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীকে তাদের পছন্দের ডিফল্ট ওয়েব ব্রাউজার নির্ধারণ করতে দেয়। এটি গুগল প্লে স্টোর থেকে একটি তৃতীয় পক্ষের অ্যাপ অধিগ্রহণের মাধ্যমে করা হয় তবে অ্যান্ড্রয়েডের অ্যাপল-বিকশিত ব্রাউজার [[সাফারি (ওয়েব ব্রাউজার)|সাফারিতে]] প্রাপ্যতা নেই; আইওএসের তুলনায় ব্যবহারকারীদের তাদের পছন্দের ব্রাউজারটি সম্পূর্ণরূপে পরিবর্তন করার সুযোগ দেওয়ার জন্য অ্যান্ড্রয়েড প্রশংসিত হয়েছে, যেখানে সাফারি অন্তর্নির্মিত এবং আনইনস্টল করা যায় না।
'''প্রাপ্যতা এবং সামঞ্জস্য'''
IOS উপলব্ধ এবং শুধুমাত্র Apple পণ্যের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এই বৈশিষ্ট্যটি সমালোচিত হয়েছে কারণ এর অর্থ হলো অ্যাপ স্টোর এবং গুগল প্লে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়, তাই ব্যবহারকারীরা অ্যাপগুলোতে একই স্তরের প্রাপ্যতা পান না। যদিও অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম ওপেন সোর্স, গুগল প্লে নয়। শুধুমাত্র অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীরা এটি ব্যবহার করতে পারবেন। আইওএসের বাজার শেয়ার ১৩.৯। % <ref>http://www.idc.com/prodserv/smartphone-os-market-share.jsp</ref> মানে IOS ব্যবহারকারীরা সংখ্যালঘু।
'''কাস্টমাইজেবিলিটি'''
IOS সোর্স কোড কোনওভাবেই ব্যবহারকারীর জন্য কাস্টমাইজযোগ্য নয়। এটি অনেককে ক্ষুব্ধ করেছে এবং জেলব্রেকিংয়ের এখন সাধারণ এবং আইনত অস্পষ্ট প্রথার দিকে পরিচালিত করেছে। এই অনুশীলনের মধ্যে রয়েছে [[ডিজিটাল অধিকার ব্যবস্থাপনা|ডিজিটাল রাইটস ম্যানেজমেন্ট (DRM)]] বিধিনিষেধ উপেক্ষা করা এবং সফটওয়্যার পরিবর্তন করা। এটি মূলত "একটি পরিবর্তিত কার্নেল প্যাচ সেট (কার্নেল অপারেটিং সিস্টেমের তত্ত্বাবধায়ক) ইনস্টল করার প্রক্রিয়া যা আপনাকে স্বাক্ষরবিহীন কোড চালানোর সুযোগ দেয়" হিসাবে ভাবা যেতে পারে। অ্যাপল উন্নত আপডেটের মাধ্যমে জেলব্রেকিং সীমিত করার চেষ্টা করেছে। অ্যাপলের সাপোর্ট পেজে জেলব্রেকিংয়ের অসুবিধাগুলো ব্যাখ্যা করা হয়েছে;
* নিরাপত্তা দুর্বলতা: আপনার ডিভাইস জেলব্রেক করলে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য এবং আপনার iOS ডিভাইস সুরক্ষিত রাখার জন্য তৈরি নিরাপত্তা স্তরগুলো দূর হয়ে যায়। আপনার iOS ডিভাইস থেকে এই নিরাপত্তা ব্যবস্থা সরিয়ে ফেলা হলে, হ্যাকাররা আপনার ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করতে পারে, আপনার ডিভাইসের ক্ষতি করতে পারে, আপনার নেটওয়ার্ক আক্রমণ করতে পারে, অথবা ম্যালওয়্যার, স্পাইওয়্যার বা ভাইরাস প্রবেশ করাতে পারে।
* অস্থিরতা: ডিভাইসের ঘন ঘন এবং অপ্রত্যাশিত ক্র্যাশ, বিল্ট-ইন অ্যাপ এবং থার্ড-পার্টি অ্যাপের ক্র্যাশ এবং ফ্রিজ, এবং ডেটা হারানো।
* ব্যাটারির আয়ু কমে গেছে: হ্যাক করা সফটওয়্যারটির কারণে ব্যাটারি দ্রুত শেষ হয়ে গেছে। এটি একবার ব্যাটারি চার্জ করলেই আইফোন, আইপ্যাড বা আইপড টাচের কাজকর্ম কমিয়ে দেয়।
* অবিশ্বস্ত ভয়েস এবং ডেটা: কল বন্ধ, ধীর বা অবিশ্বস্ত ডেটা সংযোগ, এবং বিলম্বিত বা ভুল অবস্থান ডেটা।
* পরিষেবার ব্যাঘাত: ভিজ্যুয়াল ভয়েসমেইল, আবহাওয়া এবং স্টকের মতো পরিষেবাগুলো ডিভাইসে ব্যাহত হয়েছে অথবা আর কাজ করছে না। এছাড়াও, অ্যাপল পুশ নোটিফিকেশন সার্ভিস ব্যবহারকারী তৃতীয় পক্ষের অ্যাপগুলোর বিজ্ঞপ্তি পেতে অসুবিধা হয়েছে অথবা এমন বিজ্ঞপ্তি পেয়েছে যা অন্য কোনও হ্যাক করা ডিভাইসের জন্য তৈরি। [[আইক্লাউড|iCloud]] এবং Exchange-এর মতো অন্যান্য পুশ-ভিত্তিক পরিষেবাগুলো তাদের নিজ নিজ সার্ভারের সাথে ডেটা সিঙ্ক্রোনাইজ করতে সমস্যায় পড়েছে।
* ভবিষ্যতে সফটওয়্যার আপডেট প্রয়োগ করতে অক্ষমতা: কিছু অননুমোদিত পরিবর্তন iOS-এর এমন ক্ষতি করেছে যা মেরামতযোগ্য নয়। এর ফলে ভবিষ্যতে অ্যাপল-সরবরাহকৃত iOS আপডেট ইনস্টল করার সময় হ্যাক হওয়া আইফোন, আইপ্যাড, বা আইপড টাচ স্থায়ীভাবে অকার্যকর হয়ে যেতে পারে।
'''ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা'''
আইওএস-এর ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতার জন্য অ্যাপল মূলত প্রশংসিত হয়েছে। এটি 'নান্দনিক অখণ্ডতা' এবং 'ধারাবাহিকতা' নীতির উপর নির্ভর করে অ্যাপল উল্লেখ করেছে যে নান্দনিকতার সাথে এটি সৌন্দর্য সম্পর্কে খুব বেশি কিছু নয় বরং, "একটি অ্যাপের চেহারা এবং আচরণ কতটা ভালোভাবে তার কার্যকারিতার সাথে একটি সুসংগত বার্তা পাঠায় তা বোঝায়।" "আইওএস-এর অ্যাপ স্টোরে অ্যান্ড্রয়েডের গুগল প্লে-এর তুলনায় কঠোর নির্দেশিকা রয়েছে।" এটি ইতিবাচক নাকি নেতিবাচক বৈশিষ্ট্য তা নিয়ে মতবিরোধ রয়েছে। IOS-এর 'ধারাবাহিকতা' নীতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ, সমস্ত অ্যাপই মানুষের দ্বারা পর্যালোচনা করা হয়, সম্প্রতি অ্যান্ড্রয়েডও এই বৈশিষ্ট্যটি গ্রহণ করেছে। এটিকে আইওএসের কঠোর নির্দেশিকাগুলো ইতিবাচক বলে গ্রহণযোগ্যতা হিসেবে দেখা হচ্ছে।
'''ওয়েব ব্রাউজার'''
গুগল ক্রোম এবং ফায়ারফক্সের মতো একাধিক উন্মুক্ত উৎসের ওয়েব ব্রাউজার আইওএস সহ অ্যাপ স্টোর থেকে ডাউনলোডের জন্য উপলব্ধ। তবে Safari হলো বিল্ট-ইন ইন্টারনেট ব্রাউজার, এবং তাই, খোলা যেকোনো লিঙ্ক Safari তে পুনঃনির্দেশিত হবে ব্যবহারকারীদের দ্বারা Safari প্রশংসিত এবং সমালোচিত উভয়ই হয়েছে। অ্যাপল তার ব্রাউজারগুলো (সাফারি, ক্রোম, ফায়ারফক্স ইত্যাদি) ওয়েবকিট তে চালায় তাই গতি ধারাবাহিকভাবে বেশি থাকে। 'ট্র্যাক করবেন না' বৈশিষ্ট্যটি সমর্থন করার জন্য সাফারিও প্রশংসিত হয়েছে। স্মার্টফোনের গোপনীয়তা নিয়ে উদ্বিগ্ন ব্যক্তিদের জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি বিজ্ঞাপনদাতাদের অনলাইনে আপনার ট্র্যাক করা বন্ধ করে দেয়। তবে আইওএসের মালিকানাধীন প্রকৃতির কারণে, তারা অন্যান্য ওয়েব ব্রাউজারগুলোতে এই ফাংশনের প্রাপ্যতা সীমিত করেছে, তাদের সাফারি ব্যবহারে রাজি করার একটি ধারণাগত প্রচেষ্টা হিসেবে। তৃতীয় পক্ষের ব্রাউজারগুলোতে IOS-এর আরও অনেক বিধিনিষেধ রয়েছে। যেহেতু Safari iOS-এ অন্তর্নির্মিত, তাই সিস্টেম ক্র্যাশ বিশ্বব্যাপী একাধিক ডিভাইসের বেশিরভাগ IOS ব্যবহারকারীকে প্রভাবিত করবে। ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে এই ঘটনাটি ঘটেছিল যখন কোনও ব্যবহারকারী অ্যাড্রেস বারে কিছু অনুসন্ধান করলে একটি বাগ সাফারি ক্র্যাশ করে
==== অ্যান্ড্রয়েড প্ল্যাটফর্ম নিরাপত্তা ====
'''অ্যান্ড্রয়েড নিরাপত্তা প্রতিশ্রুতি'''
অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল প্ল্যাটফর্মের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ এবং ব্যবহারযোগ্য অপারেটিং সিস্টেম হতে চায়, ঐতিহ্যবাহী অপারেটিং সিস্টেমের নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রণগুলোকে পুনঃউদ্দেশ্য দিয়ে:
* ব্যবহারকারীর ডেটা সুরক্ষিত করুন
* সিস্টেম রিসোর্স (নেটওয়ার্ক সহ) সুরক্ষিত করুন
* অ্যাপ্লিকেশন আইসোলেশন প্রদান করুন
এই লক্ষ্যগুলো অর্জনের জন্য, অ্যান্ড্রয়েড এই গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্যগুলো প্রদান করে:
* লিনাক্স কার্নেলের মাধ্যমে অপারেটিং সিস্টেম স্তরে শক্তিশালী নিরাপত্তা
* সকল অ্যাপ্লিকেশনের জন্য বাধ্যতামূলক অ্যাপ্লিকেশন স্যান্ডবক্স
* নিরাপদ আন্তঃপ্রক্রিয়া যোগাযোগ
* আবেদনপত্র স্বাক্ষর
* অ্যাপ্লিকেশন-সংজ্ঞায়িত এবং ব্যবহারকারী-প্রদত্ত অনুমতি
'''অ্যান্ড্রয়েড নিরাপত্তা সমালোচনা'''
অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ্লিকেশনগুলো একটি স্যান্ডবক্সে চলে। এটি সিস্টেমের একটি বিচ্ছিন্ন এলাকা যেখানে সিস্টেমের বাকি সংস্থানগুলোতে প্রাপ্যতা থাকে না, যদি না অ্যাপ্লিকেশনটি ইনস্টল করার সময় ব্যবহারকারী দ্বারা স্পষ্টভাবে প্রাপ্যতাের অনুমতি দেওয়া হয়। যদিও, Felt & Chin (২০১২) এর পর্যবেক্ষণ অনুযাতী, "'স্যান্ডবক্সিং' এবং অনুমতি ব্যবস্থা অ্যাপ্লিকেশনগুলোতে দুর্বলতা এবং বাগের প্রভাব কমায়। কিন্তু ডেভেলপারদের বিভ্রান্তি এবং সীমিত ডকুমেন্টেশনের ফলে অ্যাপ্লিকেশনগুলো নিয়মিতভাবে অপ্রয়োজনীয় অনুমতির অনুরোধ করে। এর ফলে এর কার্যকারিতা হ্রাস পায়"। এর উপরে, এটিও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে যে অ্যান্ড্রয়েডের ফ্র্যাগমেন্টেশন নিরাপত্তার জন্যও একটি সমস্যা। কারণ মূল অপারেটিং সিস্টেমে পাওয়া বাগের প্যাচগুলো প্রায়ই পুরানো এবং কম দামের ডিভাইসের ব্যবহারকারীদের কাছে পৌঁছায় না (কিংসলে-হিউজেস, ২০১৫)। অধিকন্তু, কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় দুর্বলতার উপর গবেষণা চালিয়েছে, যেখানে তারা এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে যে "বিক্রেতাদের প্যাচ এবং আপডেট সহ পুরানো ডিভাইসগুলোকে সমর্থন করতে ব্যর্থতার ফলে সক্রিয় ডিভাইসগুলোর সাতাশি শতাংশেরও বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে" (থমাস, বেরেসফোর্ড এবং রাইস ২০১৪)।
'''নম্বর অনুসারে অ্যান্ড্রয়েড'''
২০১৩ সালের ৩ সেপ্টেম্বরের তথ্য অনুযায়ী গুগল প্লে অ্যাপ স্টোর এক বিলিয়নেরও বেশি অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস সক্রিয় করেছে। আনুমানিক হিসাব অনুসারে, ৪০০ টিরও বেশি অ্যাপ্লিকেশন কমপক্ষে এক কোটি বার এবং ৮০০ টিরও বেশি অ্যাপ্লিকেশন কমপক্ষে পাঁচ কোটি বার ইনস্টল করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এই অ্যাপগুলো হলো গুগল প্লে অ্যাপ যার ডাউনলোড সংখ্যা অনন্য ডিভাইসে এক বিলিয়নেরও বেশি। ২০১৫ সালের ২৫শে জুন তারিখের তথ্য অনুযায়ী এই শীর্ষ বিভাগে স্থান পাওয়ার জন্য ১২টি অ্যাপ্লিকেশন রয়েছে। এগুলোর প্রতিটিই গুগল অথবা ফেসবুকের মালিকানাধীন:
# জিমেইল
# গুগল ম্যাপস
# ইউটিউব
# ফেসবুক
# গুগল সার্চ
# গুগল+
# হোয়াটসঅ্যাপ
# গুগল টেক্সট-টু-স্পিচ
# গুগল বই
# বার্তাবহ
# গুগল হ্যাঙ্গআউট
# গুগল ক্রোম
'''আইওএস প্ল্যাটফর্ম নিরাপত্তা'''
প্রতিটি iOS ডিভাইস সর্বাধিক নিরাপত্তা এবং স্বচ্ছ ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতার জন্য একসাথে কাজ করার জন্য ডিজাইন করা সফটওয়্যার, হার্ডওয়্যার এবং পরিষেবাগুলোকে একত্রিত করে। iOS কেবল ডিভাইস এবং এর ডেটাই সুরক্ষিত রাখে না, বরং সমগ্র ইকোসিস্টেমকে সুরক্ষিত রাখে, যার মধ্যে রয়েছে স্থানীয়ভাবে, নেটওয়ার্কে এবং গুরুত্বপূর্ণ ইন্টারনেট পরিষেবাগুলোর মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা যা কিছু করেন তা। iOS-এর অনেক নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য ডিফল্টরূপে সক্রিয় থাকে, তাই আইটি বিভাগগুলোকে ব্যাপক কনফিগারেশন সম্পাদনের প্রয়োজন হয় না। এবং ডিভাইস এনক্রিপশনের মতো গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্যগুলো কনফিগারযোগ্য নয়, তাই ব্যবহারকারীরা ভুল করেও সেগুলো অক্ষম করতে পারবেন না। অন্যান্য বৈশিষ্ট্য, যেমন টাচ আইডি, ডিভাইসটিকে সুরক্ষিত করা সহজ এবং আরও স্বজ্ঞাত করে ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা উন্নত করে।
'''আইওএস নিরাপত্তা প্রতিশ্রুতি'''
অ্যাপল নিরাপত্তার বিষয়টিকে কেন্দ্র করে iOS প্ল্যাটফর্মটি ডিজাইন করেছে। যখন আমরা সর্বোত্তম সম্ভাব্য মোবাইল প্ল্যাটফর্ম তৈরির লক্ষ্যে যাত্রা শুরু করি, তখন আমরা কয়েক দশকের অভিজ্ঞতা থেকে সম্পূর্ণ নতুন একটি স্থাপত্য তৈরি করি। ফলস্বরূপ, মোবাইল ডিভাইসের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে iOS একটি বড় অগ্রগতি।
আইওএস সিকিউরিটি নিম্নলিখিত বৈশিষ্ট্যগুলো প্রদান করতে চায়:
* সিস্টেম নিরাপত্তা: সমন্বিত এবং সুরক্ষিত সফটওয়্যার এবং হার্ডওয়্যার যা প্ল্যাটফর্ম
আইফোন, আইপ্যাড এবং আইপড টাচের জন্য।
* এনক্রিপশন এবং ডেটা সুরক্ষা: স্থাপত্য এবং নকশা যা ব্যবহারকারীর ডেটা সুরক্ষিত রাখে যদি
ডিভাইসটি হারিয়ে গেলে বা চুরি হয়ে গেলে, অথবা যদি কোনও অননুমোদিত ব্যক্তি এটি ব্যবহার বা পরিবর্তন করার চেষ্টা করে।
* অ্যাপ নিরাপত্তা: এমন সিস্টেম যা অ্যাপগুলোকে নিরাপদে এবং আপস ছাড়াই চালাতে সক্ষম করে
* নেটওয়ার্ক নিরাপত্তা: ট্রান্সমিশনে ডেটার প্রমাণীকরণ এবং এনক্রিপশনের মাধ্যমে শিল্প-মানক নেটওয়ার্কিং প্রোটোকল যা নিরাপদ প্রদান করে ।
* অ্যাপল পে: অ্যাপলের নিরাপদ পেমেন্ট বাস্তবায়ন।
* ইন্টারনেট পরিষেবা: মেসেজিং, সিঙ্কিং এবং ব্যাকআপ।
* ডিভাইস কন্ট্রোল: এমন পদ্ধতি যা ডিভাইসের অননুমোদিত ব্যবহার প্রতিরোধ করে এবং সক্ষম করে। এর মাধ্যমে হারিয়ে গেলে বা চুরি হয়ে গেলে দূর থেকে মুছে ফেলা হবে।
* প্রাইভেসি কন্ট্রোল: iOS এর ক্ষমতা যা লোকেশন প্রাপ্যতা নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যবহার করা যেতে পারে
'''আইওএস নিরাপত্তা সমালোচনা'''
নিরাপত্তা হুমকি মোকাবেলায় অ্যাপলের উন্মুক্ততা নিয়ে বিশেষজ্ঞ এবং সাংবাদিক উভয়ই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। বিশেষ করে তারা আশঙ্কা করছে যে অ্যাপল তার নিরাপত্তা দুর্বলতা সম্পর্কে জনসাধারণকে অবহিত করার জন্য পদক্ষেপ না নিয়ে তার ক্লায়েন্টদের বিপদে ফেলবে। তবে অ্যাপল পণ্যের নিরাপত্তা দুর্বলতা সম্পর্কে জনগণের সচেতনতার অভাব জনসাধারণকে বিভ্রান্ত করার জন্য অ্যাপলের সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। এটি বছরের পর বছর ধরে বেড়েছে (ভিয়েগা, ২০০৯)। এই সমালোচনা অ্যাপলের সময়মতো নিরাপত্তা আপডেট সহ তার পণ্যগুলো আপডেট করতে ব্যর্থতার দিকেও দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। কিছু বিশেষজ্ঞের মতে, সামগ্রিকভাবে, অ্যাপল পণ্যগুলোতে হ্যাকারদের আক্রমণ বা ভাইরাস/ম্যালওয়্যার দ্বারা সংক্রামিত হওয়ার সম্ভাবনা কম, যদিও তারা জোর দিয়ে বলেন যে এটি মূলত অ্যাপল পণ্যগুলোতে আক্রমণে হ্যাকারদের আগ্রহের অভাবের কারণে, যদিও iCloud এবং অ্যাপল ডিভাইসগুলোকে ঘিরে সাম্প্রতিক নিরাপত্তা হুমকিগুলো অন্যথার ইঙ্গিত দেয়।
২০১৩ সালের জুন মাসে দ্য গার্ডিয়ান এবং দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট উভয়ের দ্বারা ফাঁস হওয়া জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার নথি উন্মোচিত হওয়ার পর অ্যাপলের উপর আরেকটি দ্বিধা তৈরি হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। নথিগুলোতে বলা হয়েছে যে অ্যাপল আমেরিকান কোম্পানিগুলোর তালিকায় রয়েছে যারা অভিযোগ করে যে PRISM-এর সাথে সহযোগিতা করে। এটি সরকারকে গোপনে আমেরিকান কোম্পানিগুলোর দ্বারা হোস্ট করা অ-আমেরিকান নাগরিকদের ডেটা প্রাপ্যতা করার সুযোগ দেয় কোনও ওয়ারেন্ট ছাড়াই। সরকারি কর্মকর্তারা এই প্রোগ্রামের অস্তিত্ব স্বীকার করেছেন। এটি থেকে বোঝা যায় যে "এনএসএ-র ওই কোম্পানিগুলোর সার্ভারগুলোতে সরাসরি প্রবেশাধিকার রয়েছে, এবং ফাঁসের আগের বছরগুলোতে প্রোগ্রামের মাধ্যমে সংগৃহীত তথ্যের পরিমাণ দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছিল" (স্যাভেজ, ২০১৩)। অ্যাপল এই প্রোগ্রাম সম্পর্কে কোনও জ্ঞান থাকার কথা অস্বীকার করেছে।
অ্যাপল এখনও iOS নিরাপদ বলে দাবি করে। তবে iOS নিরাপত্তা সংক্রান্ত সাম্প্রতিক কেলেঙ্কারির পর অনেক ব্যবহারকারী ভিন্ন মত পোষণ করবেন। ২০১৫ সালের ২০ সেপ্টেম্বরের দিকে চিহ্নিত সর্বশেষ নিরাপত্তা সংক্রান্ত দুর্নীতির ঘটনাগুলো হলো, চীনে অবস্থিত কিছু ডেভেলপার iOS অ্যাপ স্টোরের জন্য অ্যাপ তৈরি করতে ভুল প্রোগ্রাম ব্যবহার করেছেন।<ref>http://www.macworld.co.uk/feature/iosapps/is-ipad-iphone-ios-safe-xcodeghost-what-security-software-need-3453938/</ref> ধারণা করা হচ্ছে যে ডেভেলপাররা Xcode-এর একটি নকল সংস্করণ ডাউনলোড করেছেন। কারণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে হোস্ট করা অ্যাপলের নিজস্ব সার্ভার থেকে ডাউনলোড করতে অনেক সময় লাগছিল। Xcode-এর মোট আকার প্রায় ৩.৯ গিগাবাইট। চীনা ডেভেলপাররা অ্যাপলের নিজস্ব Xcode-এর পরিবর্তে XcodeGhost ব্যবহার করছিলেন। প্রভাবিত অ্যাপগুলো চীনা হলেও সেগুলোর মধ্যে অ্যাংরি বার্ডস ২-এর মতো কয়েকটি জনপ্রিয় অ্যাপ ছিল। যদিও রোভিও নিশ্চিত করেছে যে অ্যাংরি বার্ডস ২-এর শুধুমাত্র চীনা অ্যাপ স্টোর সংস্করণটি ঝুঁকিপূর্ণ।9to5Mac অনুসারে, শীঘ্রই এর সমাধান আসছে। কিন্তু সাম্প্রতিক নিরাপত্তার কৃতিত্বের পাশাপাশি, ২০১৪ সালটি এমন একটি বছর হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে যেখানে IOS-এর নিরাপত্তা দুর্বলতা সর্বকালের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে বেশ কয়েকটি নিরাপত্তা ত্রুটি চিহ্নিত করা হয়েছিল। এর ফলে যদি ব্যবহারকারী একটি অরক্ষিত হটস্পট ব্যবহার করেন, সম্ভবত একটি ইন্টারনেট ক্যাফেতে একজন আক্রমণকারীর পক্ষে ব্যবহারকারীর ডেটা আটকানো সম্ভব হয়েছিল ।
'''সংখ্যা অনুসারে আইওএস'''
অ্যান্ড্রয়েডের পরে iOS হলো বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বাধিক জনপ্রিয় মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আইপ্যাডের বিক্রি অ্যান্ড্রয়েডের চেয়েও পিছিয়ে। যদিও ওয়েব ব্যবহারের (সকল ব্যবহারের জন্য একটি প্রক্সি) দিক থেকে আইপ্যাড (আইওএস ব্যবহার করে) এখনও সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়। ২০১২ সালের মাঝামাঝি সময়ে ৪১ কোটি ডিভাইস সক্রিয় করা হয়েছিল। WWDC ২০১৪-তে, টিম কুক বলেছিলেন, ২০১৪ সালের জুন নাগাদ ৮০০ মিলিয়ন ডিভাইস বিক্রি হয়েছে। ২৭ জানুয়ারি, ২০১৫ তারিখে অ্যাপলের ত্রৈমাসিক আয়ের আহ্বানের সময়, অ্যাপল ঘোষণা করে যে ২০০৭ সাল থেকে তারা এখন এক বিলিয়ন iOS ডিভাইস বিক্রি করেছে (শুধুমাত্র ২০১৪ সালে বিক্রি হওয়া অ্যান্ড্রয়েডের তুলনায় একটু কম)। ১৬ জানুয়ারি, ২০০৯ তারিখে, অ্যাপল তার ওয়েবসাইটে ঘোষণা করে যে ৫০ কোটি অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড করা হয়েছে। বিলিয়নতম অ্যাপ্লিকেশনটি ২৩শে এপ্রিল, ২০০৯ তারিখে ডাউনলোড করা হয়েছিল। ৩ মার্চ, ২০১২ তারিখে, ডাউনলোড করা অ্যাপের সংখ্যা ২৫ বিলিয়নে পৌঁছেছে। ৮ জুন, ২০১৫ তারিখে, অ্যাপল ঘোষণা করে যে অ্যাপ স্টোর ১০০ বিলিয়ন ডাউনলোড অতিক্রম করেছে।
ডিসেম্বর ২০১৪-এর সবচেয়ে বেশি ডাউনলোড হওয়া আইফোন এবং আইপ্যাড অ্যাপগুলোর তালিকা এখানে দেওয়া হলো: (পেইড/ ফ্রি)
# ক্ল্যাশ অফ ক্ল্যানস / অ্যাংরি বার্ডস ২
# মাইনক্রাফট / স্ন্যাপচ্যাট
# আফটারলাইট / ইউটিউব
# প্লেগ ইনকর্পোরেটেড / ফেসবুক
# স্লিপ সাইকেল অ্যালার্ম ক্লক / ইনস্টাগ্রাম
# ফেসটিউন / প্যান্ডোরা রেডিও
# কাট দ্য রোপ ২ / গুগল ম্যাপস
# ব্লুনস টিডি ৫ / ফ্লিপগ্রাম
# একটি অন্ধকার ঘর / স্পটিফাই
# ৭ মিনিট ওয়ার্কআউট চ্যালেঞ্জ / ২০৪৮
=== ওয়েব ব্রাউজার ===
==== ভূমিকা ====
[[ওয়েব ব্রাউজার]] হলো এমন অ্যাপ্লিকেশন যা একসময় ব্যবহারকারীদের ইন্টারনেট প্রাপ্যতা এবং ব্যবহার করার সুযোগ দেওয়ার জন্য ব্যবহার করা হত। কিন্তু প্রযুক্তি যত উন্নত হচ্ছে, ততই আমরা ব্রাউজারটি খোলার জন্য আরও বেশি ব্যবহার খুঁজে পাচ্ছি। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, ব্যবহারকারী ইন্টারফেস এবং এক্সটেনশনের মতো সহজ বৈশিষ্ট্যগুলো গ্রাহকদের মধ্যে সিদ্ধান্ত প্রক্রিয়ার অংশ হয়ে উঠেছে যখন তারা কোন ওয়েব ব্রাউজার ব্যবহার করবেন তা সিদ্ধান্ত নেন।
প্রথম ওয়েব ব্রাউজারটি তৈরি করা হয়েছিল কেবল WorldWideWeb (পরবর্তীতে নামটি নেক্সাসে পরিবর্তিত হয়)। [[টিম বার্নার্স-লি|স্যার টিম বার্নার্স-লি]] ১৯৯০ সালে এটি তৈরি করেন। সময়ের সাথে সাথে এবং প্রযুক্তির উন্নতির সাথে সাথে, সহজেই প্রাপ্যতাযোগ্য ব্রাউজারের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়, যার কিছুক্ষণ পরেই ১৯৯২ সালে Erwise মুক্তি পায় এবং এটি গ্রাফিক্যাল ইউজার ইন্টারফেস সহ প্রথম সাধারণভাবে প্রাপ্যতাযোগ্য ব্রাউজার ছিল। তবে ১৯৯৩ সালে [[মোজাইক (ব্রাউজার)|মোজাইক]] মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই জনসাধারণের কাছে একটি সহজে অতিক্রমযোগ্য লেআউট উপস্থাপন করা হয়েছিল, যেখানে এটি ব্যবহারকারী সকলের জন্য আরও সুগম ব্যবহারকারী ইন্টারফেসের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করা হয়েছিল। মোজাইকে বাস্তবায়িত অনেক বৈশিষ্ট্য এখনও বর্তমান জনপ্রিয় ব্রাউজারগুলোতে বিদ্যমান, যেমন উপরে একটি URL বার এবং পিছনে/ফরোয়ার্ড বোতাম।
বর্তমানে, বাজারে পাঁচটি ব্রাউজার আধিপত্য বিস্তার করছে; [[ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার]], [[মোজিলা ফায়ারফক্স|ফায়ারফক্স]], [[গুগল ক্রোম|গুগল ক্রোম,]] [[সাফারি (ওয়েব ব্রাউজার)|সাফারি]] এবং [[অপেরা (ওয়েব ব্রাউজার)|অপেরা]] । এই পাঁচটি ব্রাউজারে বেশিরভাগই কিছুটা উন্মুক্ত উৎসের। সোর্স কোডের কিছু দিক সকলের জন্য প্রাপ্যতাযোগ্য। এর একমাত্র ব্যতিক্রম ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার। এটি ১৯৯৫ সালে প্রকাশের পর থেকে সম্পূর্ণ মালিকানাধীন।
==== ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের আধিপত্য এবং পতন ====
ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার প্রথম আত্মপ্রকাশ করে ১৯৯৫ সালে যা [[মাইক্রোসফট কর্পোরেশন|মাইক্রোসফট]] দ্বারা উইন্ডোজ ৯৫ অ্যাড-অন প্যাকেজের অংশ হিসেবে তৈরি করা হয়েছিল এবং লঞ্চের সময় এটি অত্যন্ত সফল হয়েছিল। ২০০০-এর দশকের গোড়ার দিকে, ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার বাজারের বেশিরভাগ অংশ দখল করে রেখেছিল, ২০০৩ সালে ৯৫%-এ পৌঁছেছিল। তবে অন্যান্য জনপ্রিয় ওয়েব ব্রাউজারগুলোর উত্থানের সাথে সাথে, বাজারে ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের আধিপত্য এখন প্রায় হাস্যকর বলে মনে হচ্ছে, ব্রাউজারটি অনেক ইন্টারনেট রসিকতার মূল বিষয়। যদিও এটি শীর্ষ পাঁচটি সর্বাধিক ব্যবহৃত ব্রাউজারের মধ্যে রয়ে গেছে, তবুও এর জনপ্রিয়তা এবং খ্যাতি এখনও ক্ষতিগ্রস্ত এবং ক্রমাগত হ্রাস পাচ্ছে এমন ব্যবহারের পরিসংখ্যান তা প্রতিফলিত করে। <ref>http://gs.statcounter.com/#all-browser-ww-monthly-200812-201602</ref>
ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের ইতিহাসে এমন অনেক বিষয় রয়েছে যা মানুষ এর জনপ্রিয়তা হ্রাসের কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছে, যার মধ্যে কিছু বিষয় এই সত্যকে প্রতিফলিত করে যে IE প্রকৃতিগতভাবে সম্পূর্ণ মালিকানাধীন। প্রথমত, ২০০১ সালে ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের ষষ্ঠ প্রধান সংস্করণ, IE6- এর মুক্তিকে এই মুহূর্তগুলোর মধ্যে একটি বলে মনে করা হয়। [[ম্যালওয়্যার]] এবং অন্যান্য নিরাপত্তা লঙ্ঘনের বৃহৎ সমস্যা দেখা দেওয়ার সাথে সাথে, বিশেষজ্ঞরা ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার ব্যবহারকারীদের অন্যান্য নির্ভরযোগ্য ব্রাউজারে স্যুইচ করার পরামর্শ দিতে শুরু করেছেন। <ref>https://www.schneier.com/blog/archives/2004/12/safe_personal_c.html</ref> ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের একটি সাধারণ অভিযোগ হলো এই ধরণের সমস্যা আবিষ্কার করা এবং সমস্যাটি সমাধানের জন্য একটি প্যাচ প্রকাশ করার মধ্যে সময় লাগে। এটি প্রায়ই এর মালিকানাধীন প্রকৃতির কারণে হয়। এই ধরনের সমস্যা সমাধানের জন্য একটি নিবেদিতপ্রাণ দল থাকার অর্থ হলো, যখন কোনও পরিচিত সমস্যা দেখা দেয় তখন সহায়তা পাওয়া সহজ হয়, তবে নিরাপত্তার বিষয়গুলোর সমাধান খুঁজে বের করার ক্ষেত্রে, উন্মুক্ত উৎসের উপাদানগুলো প্রায়ই সম্প্রদায়গুলোকে দ্রুত সমাধান খুঁজে বের করার জন্য বিনিয়োগ করে এবং তাই তারা একটি পৃথক দলের চেয়ে দ্রুত সমাধান তৈরি এবং প্রকাশ করতে পারে।
ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের পতনের কথা বলার সময় আরেকটি আকর্ষণীয় বিবেচ্য বিষয় হলো হার্ডওয়্যার IE এর সাথে সম্পর্কিত। ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার প্রায়ই মাইক্রোসফট পণ্যের সাথে প্যাকেজ করা হয়, বিশেষ করে উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম এবং এক্সবক্স ৩৬০। তবে যখন ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার প্রাধান্য পেয়েছিল, তখন এটি আরও অনেক ডিভাইসে প্রাপ্যতাযোগ্য ছিল, বিশেষ করে [[ম্যাকিন্টশ|ম্যাকিনটোশ কম্পিউটারে]] । ম্যাকিনটোশ ব্যবহারকারীদের মধ্যে জনপ্রিয় হওয়া সত্ত্বেও, মাইক্রোসফট ঘোষণা করে যে তারা ২০০৫ সালে ম্যাকিনটোশ কম্পিউটারে ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের ডেভেলপমেন্ট বন্ধ করার পরিকল্পনা করছে। যেহেতু IE একটি মালিকানাধীন ব্রাউজার, তাই এটি ডেভেলপমেন্টের দৃষ্টিকোণ থেকে অনেক অর্থবহ। এটি উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের ডেভেলপমেন্টের উপর আরও বেশি মনোযোগ দেওয়ার সুযোগ করে দেয়। তবে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্নতার ফলে বাজারের একটি বৃহৎ অংশ সম্পূর্ণরূপে প্রাপ্যতাযোগ্য হয়ে ওঠে না, এমন একটি সমস্যা যা সফটওয়্যারটি উন্মুক্ত উৎসের হলে বিদ্যমান থাকত না। এই কোড ব্যবহারের মাধ্যমে, ম্যাকিনটোশ ব্যবহারকারীরা নিজেরাই সফটওয়্যারটি আপডেট করতে পারবেন এবং তাদের পছন্দের কম্পিউটারে চালানোর জন্য ব্রাউজারগুলো আপডেট করার পদ্ধতিগুলো বের করতে পারবেন। এই বিশেষ উদাহরণে, মনে হচ্ছে একটি উন্মুক্ত উৎসের ব্রাউজার থাকা বৃহত্তর দর্শকদের কাছে পৌঁছানোর ক্ষেত্রে আরও উপকারী।
==== ফায়ারফক্সের আধিপত্য এবং পতন ====
২০০৪ সালের শেষের দিকে, [[মোজিলা|মজিলা]] ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে মজিলা ফায়ারফক্স প্রকাশ করে। এটি সম্পূর্ণরূপে উন্মুক্ত উৎসের ওয়েব ব্রাউজার। এটি এর গতি, নিরাপত্তা এবং ব্রাউজার এক্সটেনশনের মতো নতুন বৈশিষ্ট্যগুলোর জন্য ব্যাপক প্রশংসা লাভ করে, যাকে অ্যাড-অনও বলা হয়। অধিকন্তু, উন্মুক্ত উৎসের ইন নেচার হওয়ায় ফায়ারফক্স ব্যবহারকারীদের ইন্টারনেটের সাথে কীভাবে যোগাযোগ করা যায় সে সম্পর্কে আরও স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছিল। এটি মজিলা ম্যানিফেস্টোর দ্বিতীয় দাবি "ইন্টারনেট একটি বিশ্বব্যাপী পাবলিক রিসোর্স যা উন্মুক্ত এবং প্রাপ্যতাযোগ্য থাকা উচিত" দ্বারা সবচেয়ে ভালোভাবে অনুমান করা হয়েছে। <ref>https://www.mozilla.org/en-GB/about/manifesto/</ref>
একটি উন্মুক্ত উৎসের ব্রাউজার হিসেবে, ফায়ারফক্স তৃতীয় পক্ষের ডেভেলপমেন্ট থেকে উপকৃত হয়, বিশেষ করে অ্যাড-অনগুলোর মাধ্যমে যা ব্যবহারকারীদের ব্রাউজারটি কীভাবে কাজ করে তা নিয়ন্ত্রণ করতে দেয়। ফায়ারফক্সের কোড সকলের জন্য উপলব্ধ হওয়ার সাথে সাথে, গ্রাহকদের তাদের ব্রাউজিং অভিজ্ঞতায় ইচ্ছামত বৈশিষ্ট্য যোগ করার জন্য এক্সটেনশন তৈরি করার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল, যেমন অ্যাডব্লকের মতো এক্সটেনশন ব্যবহার করে অবাঞ্ছিত বিজ্ঞাপন অপসারণ করা। আরও সুন্দরভাবে, ফায়ারফক্স কাস্টম ব্যবহারকারী থিমগুলোকেও সমর্থন করেছিল। এটি ব্যবহারকারীদের ব্রাউজারের চেহারা এবং রঙের স্কিম পরিবর্তন করার সুযোগ দেয়। এটি আরও উপযুক্ত ব্রাউজিং অভিজ্ঞতা তৈরি করে। নিরাপত্তা সমস্যার সমাধান দ্রুত খুঁজে পাওয়া যায় এবং উন্মুক্ত উৎসের প্রোগ্রামগুলো আরও সুরক্ষিত হওয়ার সাথে সাথে, ফায়ারফক্স তাৎক্ষণিকভাবে জনপ্রিয়তা অর্জন করে, বিশেষ করে তার প্রধান প্রতিযোগী ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার ৬-এর তুলনায়।
তবে ফায়ারফক্সের পরিষেবা হিসেবে একটি প্রধান সমস্যা হলো আপডেট এবং এর মধ্যে থাকা বিষয়বস্তুর ক্ষেত্রে এর নির্ভরযোগ্যতা। ফায়ারফক্সের অনেক আপডেটই ছোটখাটো প্রকৃতির এবং সম্প্রদায়-ভিত্তিক হওয়ায়, গ্রাহকদের আগ্রহের জন্য খুব কমই নতুন, বৃহৎ পরিসরের বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এর ফলে ফায়ারফক্স ব্যবহারকারীদের একটি নিবেদিতপ্রাণ সম্প্রদায় তৈরি হয়। কিন্তু নতুন ব্যবহারকারীর সংখ্যা কম হয়। যদিও ফায়ারফক্সের স্থিতিশীলতা ধারাবাহিকভাবে ভালো রয়ে গেছে, ছোটখাটো সম্প্রদায়-চালিত বাগ সংশোধনের বাইরে প্রভাবশালী উন্নতির অভাবের ফলে এর ব্যবহারের পরিসংখ্যান কিছুটা স্থবির হয়ে পড়েছে। <ref>http://www.digitaltrends.com/computing/internet-explorer-chrome-and-firefox-market-share-for-october/</ref>
==== গুগল ক্রোমের উত্থান ====
২০০৮ সালে গুগল তাদের নিজস্ব ওয়েব ব্রাউজার, গুগল ক্রোম দিয়ে ব্রাউজার যুদ্ধে প্রবেশ করে। মুক্তি পাওয়ার পর থেকে, ক্রোমের জনপ্রিয়তা কেবল বৃদ্ধি পেয়েছে, বর্তমানে এটি বাজারে আধিপত্য বিস্তার করেছে এবং ফেব্রুয়ারি ২০১৬ পর্যন্ত মোট ব্যবহারের ৪৭.৭৭% ব্যবহার রয়েছে। গুগল ক্রোম একটি ফ্রিওয়্যার, যার অর্থ এর কিছু উপাদান রয়েছে যা প্রকৃতিগতভাবে মালিকানাধীন, তবে এর বেশিরভাগ কোডই ওপেন সোর্স। এর জনপ্রিয়তার পেছনে অনেক বৈশিষ্ট্য রয়েছে, এর সহজলভ্য, ন্যূনতম ইন্টারফেস এবং গতি মাত্র কয়েকটি।
উন্মুক্ত উৎসের হওয়ায় ফায়ারফক্সের মতোই ক্রোম উপকৃত হয়েছে, ঘন ঘন আপডেট, থিম এবং ব্রাউজার এক্সটেনশনের মতো বৈশিষ্ট্যগুলো ক্রোম ব্যবহারকারীদের জন্য উপলব্ধ। যদিও ফায়ারফক্সের উন্মুক্ত উৎসের প্রকৃতি এটিকে প্রাথমিকভাবে জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি করেছিল, একই রকম বৈশিষ্ট্য এবং সুপরিচিত আইটি কোম্পানি গুগলের সাথে সংযোগ ক্রোমকে তার আধিপত্য প্রতিষ্ঠার জন্য প্রয়োজনীয় রিলিজের সময় তা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করেছিল। [[ক্রোমিয়াম (ওয়েব ব্রাউজার)|ক্রোমিয়াম]] ক্রোমের সোর্স কোডে সহজে প্রাপ্যতাের সুযোগ করে দেওয়ার ফলে, ইচ্ছুকদের আউটসোর্সিং করে ক্রোমের জন্য লিনাক্স এবং ম্যাক ওএস এক্স পোর্টের কিছু ডেভেলপমেন্ট কাজ সহজ করা হয়েছে। <ref>http://arstechnica.com/information-technology/2008/09/google-unveils-chrome-source-code-and-linux-port/</ref> এর ফলে গুগলকে ইউজার ইন্টারফেস উন্নত করার এবং ব্রাউজারের আরও ভালো বিজ্ঞাপন দেওয়ার মতো বৈশিষ্ট্যগুলোতে মনোনিবেশ করার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছিল, এই সুযোগটি কাজে লাগিয়ে যে সার্চ ইঞ্জিন গুগল তাদের ব্রাউজার প্রচারের জন্য একটি সাধারণভাবে ব্যবহৃত পরিষেবা ছিল। তাদের কোডের ওপেন সোর্সিংয়ের মাধ্যমে ঘন ঘন আপডেটের সুযোগ দেওয়া হয় এবং নির্ভরযোগ্য এবং দ্রুত পরিষেবা পাওয়া যায়, তাই গুগল ক্রোম কেন জনপ্রিয়তার দিক থেকে এগিয়ে চলেছে তা স্পষ্ট।
'''http://www.telegraph.co.uk/technology/news/9163335/Whats-behind-the-rise-of-Google-Chrome.html'''
== উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যার কী? ==
উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যার (OSS) হলো গ্নু এবং Linux এর মতো প্রোগ্রাম যা প্রোগ্রামারদের নির্দিষ্ট সফটওয়্যার সম্পাদনা এবং উন্নত করার জন্য সোর্স কোড পরিবর্তন করতে দেয়। মুইর তার উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যার বইয়ে OSS কে "প্রকৃত সোর্স কোডে প্রাপ্যতা" হিসেবে সংজ্ঞায়িত করেছেন। এটি প্রায়ই গ্নু পাবলিক লাইসেন্সের অধীনে পাওয়া যায়। এটি প্রোগ্রামারদের সফটওয়্যার পরিবর্তন করতে এবং এটি পুনরায় বিতরণ করতে দেয়, এই প্রয়োজনে যে তারা এই পরিবর্তনগুলো অন্যান্য ডেভেলপারদের কাছে উপলব্ধ করে।" <ref>Muir, Scott P, and Leggott, Mark, eds. Open Source Software. Bradford, GBR: Emerald Group Publishing Ltd, 2005. ProQuest ebrary. Web. 5 March 2016</ref> এটিকে বিনামূল্যের সফটওয়্যার হিসাবেও পরিচিত করা যেতে পারে তবে আমি এই বাক্যাংশটি থেকে দূরে থাকব কারণ এটি 'মুক্ত বাকস্বাধীনতা'র পরিবর্তে 'মুক্ত জিনিস' ধারণার মতো বিনামূল্যের কথা উল্লেখ করে।
=== ওএসএসের ইতিহাস ===
ধারণা করা হয় যে UNIVAC ('ইউনিভার্সাল অটোমেটিক কম্পিউটার'-এর সংক্ষিপ্ত রূপ) প্রথম উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যার, 'A-2 সিস্টেম' তৈরি করেছিল। এটি ১৯৫৩ সালে তৈরি করা হয়েছিল এবং সেই বছরের শেষ নাগাদ বিতরণ করা হয়েছিল। পণ্যটিতে সোর্স কোডও অন্তর্ভুক্ত ছিল যা ব্যবহারকারীদের প্রদান করা হয়েছিল যাতে তারা (যদি তারা ইচ্ছা করে) পণ্যের উন্নত সংস্করণগুলো UNIVAC-তে ফেরত পাঠাতে পারে <ref>Peter Cohan. (2009). Back to the 1970s: IBM in mainframe antitrust suit again. Retrieved march/3rd, 2016, from http://www.dailyfinance.com/2009/10/09/back-to-the-1970s-ibm-in-mainframe-antitrust-suit-again/</ref> ১৯৬০-এর দশকের আগের যুগে এটা বলা নিরাপদ ছিল যে বেশিরভাগ প্রোগ্রাম বিনামূল্যে ছিল। তবে এগুলো বিনামূল্যে ছিল না কারণ সফটওয়্যার ডেভেলপাররা গ্রাহকদের বাগ ঠিক করতে এবং পণ্যের উন্নতি ফেরত পাঠাতে সাহায্য করার ধারণাটি পছন্দ করেছিলেন যাতে পণ্যটি আরও ভালোভাবে তৈরি করা যায় (যদিও ইউনিভ্যাকের A-2 সিস্টেমটি এর দ্বারা চালিত হয়েছিল) কিন্তু কারণ সেই সময়ে প্রযুক্তি ছিল ভীতিকর এবং খুবই ভয়ঙ্কর। এর আংশিক কারণ ছিল সেই সময়ে সায়েন্স ফিকশন সিনেমার প্রযোজনাগুলোকে ভৌতিক হিসেবে দেখা হত। মানুষের মনে একটা বিরাট ভয় ছিল,যদি কোম্পানিগুলো তাদের কাজের ব্যাপারে স্বচ্ছ না হয়, তাহলে মানুষ পেছনের দরজা দিয়ে বেরিয়ে যাবে, ফলে হ্যাক করা সহজ হবে।
সময়ের সাথে সাথে প্রযুক্তি অনেক উন্নত হতে শুরু করে, এর ফলে প্রতিযোগীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পায় এবং দামও বৃদ্ধি পায়। তবে প্রতিযোগীদের সংখ্যা বৃদ্ধির অর্থ হলো নোংরা কৌশলের প্রবর্তন। এই বাজারটি একসময় একটি অলিগোপলি ছিল এবং আইবিএমের মতো কোম্পানিগুলো এটিকে এভাবেই রাখতে চাইত। ১৯৬৯ সালে কম্পিউটার বাজারের এই বৃহৎ খেলোয়াড়টির বিরুদ্ধে প্রতিযোগিতামূলক মূল্য নির্ধারণের জন্য একটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। <ref>Hopper, Grace. "Keynote Address". Proceedings of the ACM SIGPLAN History of Programming Languages (HOPL) conference</ref>
=== ওএসএস-এর সমালোচনা ===
সময়ের সাথে সাথে OSS মালিকানাধীন সফটওয়্যারের চেয়ে বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এর মূল কারণ হলো এটি বিনামূল্যে, যেখানে মালিকানাধীন সফটওয়্যারের জন্য মানুষকে অর্থ প্রদান করতে হয়। তবে এটি একটি অলাভজনক সম্প্রদায় দ্বারা তৈরি হওয়ায় এর বেশ কিছু অসুবিধা রয়েছে। মালিকানাধীন সফটওয়্যারের তুলনায় OSS ব্যবহারের অনেক সুবিধা রয়েছে। ব্যবসার জন্য প্রধান সুবিধা হলো উন্মুক্ত উৎসের হলো বাজারে প্রবেশের ক্ষেত্রে ব্যবসার জন্য আরও বেশি সাফল্য অর্জনের একটি ভালো উপায়। যখন কোনও কোম্পানি OSS ব্যবহারের পরিকল্পনা করে, তখন তারা এমন পণ্য প্রতিষ্ঠা করতে পারে যা নির্ভরযোগ্য, উচ্চমানের এবং শিল্পের মানদণ্ডের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ, যার অর্থ তারা প্রতিদ্বন্দ্বী কোম্পানিগুলোর উপর এগিয়ে থাকতে পারে। এটিকে আরও নির্ভরযোগ্য বলে মনে করা হয় কারণ এতে অনেক স্বাধীন প্রোগ্রামার (যেমন লিনাক্স) সহযোগিতা করতে পারে এবং সাধারণ প্রকাশের আগে এর বাগ এবং সমস্যাগুলো খুঁজে বের করতে পারে। রেনল্ডস, <ref>Carl; Jeremy Wyatt (February 2011). "Open Source, Open Standards, and Health Care Information Systems". JMIR 13. doi:10.2196/jmir.1521</ref> OSS এর আরেকটি সুবিধা এবং অনেক নতুন প্রযুক্তি সংস্থা এটি ব্যবহারের অন্যতম কারণ হলো এটি সস্তা এবং ব্যবহার করা সহজ। মালিকানাধীন সফটওয়্যারের বিপরীতে যেখানে ব্যয়বহুল গবেষণা এবং উন্নয়ন করতে হয়।
OSS ব্যবহারের ফলে একটি কোম্পানি তাদের ব্যবহৃত প্রযুক্তির সাথে আরও নমনীয় হতে পারে। এর ফলে একটি ব্যবসা বাজারে দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানাতে পারে এবং দ্রুত উদ্ভাবন অর্জন করতে পারে। এটি একটি ক্রমাগত অগ্রগতিশীল প্রযুক্তিগত বিশ্বে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। OSS কৌশল ব্যবহারের মাধ্যমে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান অ্যাপল এবং মাইক্রোসফটের মতো বৃহৎ কোম্পানির বিরুদ্ধে সুযোগ পায় কারণ এটি সস্তা। <ref>Sharma, Srinarayan; Vijayan Sugumaran; Balaji Rajagopalan (2002). "A framework for creating hybrid-open source software communities"</ref> OSS-এর আরেকটি সুবিধা হলো, সফটওয়্যারের ডেভেলপাররা তাদের নিজস্ব সফটওয়্যারের মতো ক্ষমতায়িত বোধ করবে, যার অর্থ তারা আরও ভালোভাবে তৈরি পণ্য তৈরি করবে কারণ একজন কর্মী তাদের নিজস্ব তৈরিতে কাজ করার জন্য আরও বেশি অনুপ্রাণিত বোধ করবে। এই মালিকানার বোধের কারণে পণ্য এবং কোম্পানির প্রতি আনুগত্য তৈরি হয়। OSS ব্যবহারকারীদের যদি দক্ষ এবং কম্পিউটারে দক্ষ হন, তাহলে বিরক্তিকর বাগ ঠিক করার জন্য পরবর্তী প্যাচের জন্য অপেক্ষা করতে হবে না।
সামগ্রিকভাবে, OSS ব্যবহার আপনার ব্র্যান্ড এবং এর অর্থ কী তা সংজ্ঞায়িত করতে সাহায্য করে। OSS কে ব্র্যান্ডগুলোর জন্য একটি ইতিবাচক ভাবমূর্তি হিসেবে দেখা হয় কারণ এটি ভেন্ডর লক-ইন (যা মালিকানাধীন লক-ইন নামেও পরিচিত) বা প্যাচের জন্য চার্জিংয়ের ধারণার বিরুদ্ধে দাঁড়ায়। যেসব কোম্পানি OSS ব্যবহার করে তারা সাধারণত ব্যবসায়িক পরিভাষা 'কাইজেন' (ক্রমাগত উন্নতি) তে বিশ্বাস করে, যার অর্থ তারা সর্বদা তাদের মূল্যবান গ্রাহকের কাছে আরও ভালো পণ্য সরবরাহ করতে চায়। এটি এই ধারণার প্রতিনিধিত্ব করে যে প্রযুক্তি মুক্ত হওয়া উচিত। আমাদের সবসময় প্রিমিয়াম মূল্য পরিশোধ করতে হবে না।
বেশিরভাগ জিনিসের মতো অনেক দুর্দান্ত সুবিধার সাথে সাথে কিছু অসুবিধাও থাকতে হবে এবং OSSও এর থেকে আলাদা নয়। গ্রাহকদের চাহিদা শোনার জন্য ডেভেলপারদের উপর বাণিজ্যিক চাপের অভাব রয়েছে। এর অর্থ হলো তারা এমন সফটওয়্যার তৈরি করবে যা গ্রাহকদের চেয়ে তাদের চাহিদা অনুসারে তৈরি করা হবে। পণ্যের গুণমান এতে কাজ করা প্রোগ্রামারদের ধরণের দ্বারাও প্রভাবিত হতে পারে। কারণ OSS-এর সাফল্য অনেকটাই দলীয় কাজের উপর নির্ভর করে। সফটওয়্যারটিতে কাজ করা কিছু প্রোগ্রামারের বিভিন্ন লক্ষ্য থাকতে পারে, সফটওয়্যার সম্পর্কে ধারণা থাকতে পারে যা একে অপরের সাথে সাংঘর্ষিক হতে পারে। ইজেল এবং সোর্সএক্সচেঞ্জের মতো বেশ কয়েকটি ওএসএস প্রকল্পে এটি ঘটেছে। <ref>Sharma, Srinarayan; Vijayan Sugumaran; Balaji Rajagopalan (2002). "A framework for creating hybrid-open source software communities"</ref> বড় কোম্পানিগুলো উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যার ব্যবহার না করার একটি প্রধান কারণ হলো নিরাপত্তা ঝুঁকি। সোর্স কোড দেখানো হলে নিরাপত্তার দুর্বলতা দেখা যাবে যা ত্রুটি খুঁজে বের করা সহজ করে তুলতে পারে। বৃহৎ পরিসরে OSS প্রকল্পের ক্ষেত্রে এটি তেমন একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়, তবে একক ব্যক্তির প্রকল্পের ক্ষেত্রে বড় ধরনের নিরাপত্তা ঝুঁকি থাকতে পারে।
উন্মুক্ত উৎসের ব্যবহারের ফলে একই ধরণের জিনিসের ক্লোন তৈরি হয়। এর একটি ভালো উদাহরণ হলো মোবাইল গেম ফ্ল্যাপি বার্ড। যখন এটি সফল হয়, তখন আমরা অ্যান্ড্রয়েডে অনেক অনুরূপ কপি দেখতে পাই। যেখানে ক্লোজড সোর্স সফটওয়্যারের তাদের সফটওয়্যারে কী লাগানো হবে তার উপর বেশি নিয়ন্ত্রণ থাকে <ref>Joab Jackson. Open source vs. proprietary software. Retrieved March/4th, 2016, from http://www.pcworld.com/article/243136/open_source_vs_proprietary_software.html</ref> এর ফলে অনেক OSS প্রকল্প ক্লোন করা হয়। এর ফলে গ্রাহক নিম্নমানের সফটওয়্যারের চাপে পড়ে যান এবং ভালো সফটওয়্যার থেকে বঞ্চিত হন।
ডেভেলপাররা এতে যোগ এবং পরিবর্তন করার সাথে সাথে OSS বাস্তব সময়ে বিকশিত হতে থাকে, যার অর্থ এটি আরও উন্নত মানের হতে পারে। OSS এর সাথে সম্পর্কিত একটি সাধারণ ভুল ধারণা হলো যে এটি মালিকানাধীন সিস্টেমের তুলনায় বেশি নিরাপদ এবং ভাইরাসের ঝুঁকি কম কারণ এর বিপুল সংখ্যক ব্যবহারকারী রয়েছে যারা যেকোনো সমস্যা সমাধানের জন্য সেখানে উপস্থিত থাকে। যদিও এটি সত্য হতে পারে, তবে এটি অগত্যা এটিকে সহজাতভাবে নিরাপদ করে তোলে না। লোকেরা কোডটি দেখে। এর ফলে নিরাপত্তার দুর্বলতাগুলো সহজেই ধরা পড়ে। OSS নিরাপত্তার উপর একটি তদন্তে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে যে OSS কোডকে দৃশ্যমান করে তোলে, তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই, উৎস দৃশ্যমানতা একটি নির্দিষ্ট প্রকল্পের জন্য সৃষ্ট সামগ্রিক নিরাপত্তা ঝুঁকি বাড়াতে খুব কমই সাহায্য করে। নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা জানিয়েছেন,বেশিরভাগ পরিস্থিতিতে, উৎসের দৃশ্যমানতা প্রকল্পের স্থিতিশীলতা এবং নিরাপদ অবস্থার সম্মতিতেও সহায়তা করতে পারে।
<u>সফটওয়্যার</u> সবকিছুই একটি একক অপারেটিং সিস্টেম ইউনিক্স থেকে আসে, মূলত এটি IOS10 সহ ম্যাকের IOS সিস্টেমের ভিত্তি স্থাপন করে। এটি মূলত কোড লেখার পরিবর্তে একটি আগে থেকে তৈরি অপারেটিং সিস্টেম। যদিও এটি প্রায় প্রতিটি অপারেটিং সিস্টেমের ভিত্তি তৈরি করে, এটি খুবই 'বন্ধ'। কিন্তু এটি এই তত্ত্বের পরিপন্থী যে সবাই চায় সবকিছু উন্মুক্ত থাকুক এবং ভাগ করে নেওয়া হোক যাতে আপনি আপনার চাহিদা অনুযায়ী সফটওয়্যারটি সম্পাদনা এবং তৈরি করতে পারেন।
সহজ কথা হলো, সকলেই তাদের চাহিদা অনুযায়ী সফটওয়্যার সম্পাদনা এবং পরিচালনা করতে চায় না। এটা তাদের জন্য খুব জটিল হতে পারে অথবা তারা হয়তো আগ্রহী নাও হতে পারে। কিছু ব্যক্তি কেবল একটি সাধারণ কাজের জন্য কম্পিউটার ব্যবহার করতে চান এবং লগ ইন এবং CLU ব্যবহারের ঝামেলা মোকাবেলা করতে চান না। এই ক্ষেত্রে একটি GUI, গ্রাফিক্যাল ইউজার ইন্টারফেসই যথেষ্ট। এটি দ্রুত, সহজ এবং ব্যবহার করা সহজ। ব্যবহারকারী কী চায় তা আপনাকে বিবেচনা করতে হবে। তারা কি অফুরন্ত কোডিং চায় নাকি মেকানিক্স চায়, তবে কি এটা উন্মুক্ত নাকি বাণিজ্যিকীকরণ করা হবে?
== মালিকানাধীন সফটওয়্যার ==
=== ভূমিকা ===
মালিকানাধীন সফটওয়্যার হলো এমন সফটওয়্যার যা আইনত সম্পূর্ণরূপে এর স্রষ্টা বা স্রষ্টাদের মালিকানাধীন। সাধারণত, মালিকানাধীন সফটওয়্যারের সোর্স কোড দেখার ক্ষমতা এবং এর পরিবর্তনের উপর খুব কঠোর বিধিনিষেধ থাকে। এই সীমাবদ্ধতার কারণে, ব্যবহারকারীর প্রয়োজন অনুসারে প্রোগ্রামটি পরিবর্তন বা সংশোধন করার ক্ষমতা সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ। এই ধরণের সফটওয়্যার (যদিও কখনও কখনও বিনামূল্যে) সাধারণত শুধুমাত্র একটি ফি দিয়ে পাওয়া যায় এবং শুধুমাত্র লাইসেন্সপ্রাপ্ত কী হোল্ডাররা এর উদ্দেশ্যে সফটওয়্যারটি ব্যবহার করতে পারেন।
মালিকানাধীন সফটওয়্যার লাইসেন্স এবং লাইসেন্স চুক্তির মাধ্যমে ব্যবহৃত হয়। ডগলাস ই ফিলিপস তার "সফটওয়্যার লাইসেন্স উন্মোচিত" বইতে রূপরেখা দিয়েছেন : লাইসেন্স আইন কীভাবে সফটওয়্যার প্রাপ্যতা নিয়ন্ত্রণ করে", <ref>Phillips, DE 2009, Software License Unveiled : How Legislation by License Controls Software Access, Oxford University Press, USA, Cary, NC, USA. Available from: ProQuest ebrary. [6 March 2016].</ref> সমস্ত ব্যবহারকারী লাইসেন্স চুক্তি অনুসরণ করে এমন নির্দিষ্ট নির্দেশিকা।
এর মধ্যে রয়েছে:- "আপনি হয়তো ভেবেছেন যে আপনি কিছু কিনেছেন। কিন্তু আপনি তা করেননি। সফটওয়্যারটি লাইসেন্সপ্রাপ্ত, বিক্রি করা হয়নি।"
"আপনি এখন একটি সফটওয়্যার কোম্পানির সাথে একটি চুক্তির পক্ষ। লাইসেন্সটি আপনার এবং সফটওয়্যার প্রদানকারীর মধ্যে একটি আইনত বাধ্যতামূলক চুক্তি।"
"যদি এটি না বলে যে আপনি এটি করতে পারবেন, তাহলে আপনি পারবেন না। সফটওয়্যার প্রদানকারী আপনাকে সফটওয়্যারটি ব্যবহারের সুযোগ দেয়। কিন্তু আপনি এমন কিছু করতে পারবেন না যা লাইসেন্স স্পষ্টভাবে সুযোগ দেয় না। অবশ্যই, আপনাকে এমন কিছু করা থেকেও বিরত থাকতে হবে যা এটি স্পষ্টভাবে নিষিদ্ধ করে। উদাহরণস্বরূপ, আপনি একবারে একাধিক ব্যক্তিকে সফটওয়্যারটি ব্যবহার করতে দিতে পারবেন না; এটি পুনরায় বিক্রয় বা বিপরীত প্রকৌশলী করতে পারবেন; অথবা, যদি সফটওয়্যারটি একটি নির্দিষ্ট ধরণের শেষ ব্যবহারকারীর জন্য মনোনীত করা হয়, তাহলে সেই ধরণের শেষ ব্যবহারকারী না হয়ে এটি ব্যবহার করুন।"
"যদি আপনি এমন কিছু করেন যা এটি বলে না যে আপনি করতে পারবেন (অথবা বলে যে আপনি করতে পারবেন না), তাহলে আপনি সফটওয়্যারটি একেবারেই ব্যবহার করতে পারবেন না। সফটওয়্যারটি ব্যবহারের জন্য আপনার অনুমতি লাইসেন্স চুক্তির সমস্ত শর্তাবলী মেনে চলার উপর নির্ভরশীল, যার মধ্যে আপনার ব্যবহারকে সীমাবদ্ধ করে এমন সমস্ত শর্তাবলীও অন্তর্ভুক্ত। ফলস্বরূপ, যেকোনো শর্ত লঙ্ঘনের ফলে আপনার সমস্ত লাইসেন্স অধিকার নষ্ট হতে পারে এবং আপনি কেবল চুক্তি ভঙ্গকারীই নন, বরং কপিরাইট লঙ্ঘনকারীও হয়ে ওঠেন।"
"যদি সফটওয়্যার কোম্পানি কিছু করতে চায়, তাহলে তা করতে পারে। আপনি সফটওয়্যার প্রদানকারীকে সফটওয়্যারে পণ্য সক্রিয়করণ, পণ্য যাচাইকরণ এবং স্বয়ংক্রিয় আপডেট ফাংশন অন্তর্ভুক্ত করার জন্য নিঃশর্ত অনুমতি দেন। এই ফাংশনগুলো সফটওয়্যারে আপনার প্রাপ্যতাকে প্রভাবিত করতে পারে, এবং সম্ভাব্যভাবে আপনার কম্পিউটারে, এবং সফটওয়্যার এবং আপনার কম্পিউটার সম্পর্কে তথ্য সফটওয়্যার প্রদানকারীর কাছে প্রেরণ করতে পারে।"
"যদি সফটওয়্যারে কিছু ভুল হয়ে যায়, তাহলে তা ঠিক করার জন্য সফটওয়্যার কোম্পানির উপর নির্ভর করবেন না। আপনি সম্মত হন যে সফটওয়্যার সরবরাহকারী আপনাকে খুব কম বা কোনও ওয়ারেন্টি দেয় না এবং সফটওয়্যার ত্রুটির জন্য আপনার কাছে খুব কম বা কোনও দায়বদ্ধতা থাকবে না। আপনি আরও সম্মত হন যে সফটওয়্যার তৃতীয় পক্ষের অধিকার লঙ্ঘন করলে আপনার বিরুদ্ধে যে দাবি হতে পারে তার জন্য সফটওয়্যার সরবরাহকারী দায়ী থাকবে না।" (ফিলিপস, ২০০৯)
মুক্ত সফটওয়্যার আন্দোলন ১৯৮৩ সালে শুরু হয়েছিল। এর প্রবর্তনের পর একদল ব্যক্তি "মুক্ত সফটওয়্যার" শব্দটিকে উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যার (OSS) দ্বারা প্রতিস্থাপন করার পক্ষে মত প্রকাশ করেন। এটি কর্পোরেট জগতের ক্ষেত্রে আরও সুবিধাজনক। সফটওয়্যার ডেভেলপাররা তাদের সফটওয়্যারটি একটি উন্মুক্ত উৎসের লাইসেন্স কাঠামোর মধ্যে প্রকাশ করতে চাইতে পারেন যাতে যে কেউ একই সফটওয়্যারটি তৈরি করতে পারে অথবা এর অভ্যন্তরীণ কার্যকারিতা সম্পর্কে আরও ভালভাবে বুঝতে পারে। উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যারের সাহায্যে, যে কেউ এতে পরিবর্তন আনতে, নতুন অপারেটিং সিস্টেম এবং প্রসেসর আর্কিটেকচারে পোর্ট করতে সক্ষম। এটি এটিকে অন্যদের সাথে ভাগ করে নেওয়ার বা কিছু ক্ষেত্রে বাজারজাত করার সুযোগ দেয়।
=== উদাহরণ ===
প্রোপ্রাইটি সফটওয়্যারের সবচেয়ে বেশি ব্যবহারকারীদের মধ্যে একটি হলো [https://www.microsoft.com/en-gb মাইক্রোসফট কর্পোরেশন] । [[উইন্ডোজ এক্সপি]] এবং [[উইন্ডোজ ৮|উইন্ডোজ ৮ এর]] মতো অপারেটিং সিস্টেম থেকে শুরু করে বিশ্বব্যাপী প্রভাবশালী [[মাইক্রোসফট অফিস]] প্রোগ্রাম পর্যন্ত প্রতিটি সফটওয়্যারই সুরক্ষার যথাযথ ব্যবস্থা ব্যবহার করে। মালিকানাধীন প্রোগ্রামগুলোর আরও উদাহরণগুলোর মধ্যে রয়েছে; [http://www.adobe.com/ অ্যাডোবি ফ্ল্যাশ প্লেয়ার], [[আইটিউন্স|আইটিউনস]] এবং [[ম্যাকওএস|ম্যাক ওএস এক্স]] ।
=== সুবিধা ===
মালিকানাধীন সফটওয়্যার ব্যবহারের সুবিধা এবং অসুবিধা উভয়ই রয়েছে। উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যার সিস্টেমের পরিবর্তে মালিকানাধীন সফটওয়্যার সিস্টেম ব্যবহারের সুবিধা হলো যে পণ্যটি ব্যবহার করার সময় আপনার যে কোনও সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে তার জন্য অনেক বেশি নিবেদিতপ্রাণ সহায়তা রয়েছে। যেহেতু মালিকানাধীন সফটওয়্যারটি কোনও কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান দ্বারা তৈরি করা হয় এবং পণ্য হিসেবে বিক্রি করা হয়, তাই কোনও সমস্যা হলে বা সিস্টেম ইনস্টল/সেট আপ করার ক্ষেত্রে যদি তাদের সাহায্যের প্রয়োজন হয়, তাহলে গ্রাহকদের জন্য সর্বদা সহায়তা পাওয়া নিশ্চিত করা কোম্পানির স্বার্থে। এটি উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যার থেকে আলাদা, যেখানে একটি কমিউনিটি সাপোর্ট সিস্টেম বেশি থাকে যেখানে সঠিক সমাধান খুঁজে না পাওয়া পর্যন্ত আপনাকে বিভিন্ন সমাধান অনুসন্ধান করতে হতে পারে। মালিকানাধীন সফটওয়্যার সাধারণত ব্যবসায়িক জগতের চাহিদা পূরণের জন্য এবং বাজারের চাহিদা পূরণের জন্য তৈরি করা হয়। এই কারণে, মালিকানাধীন সফটওয়্যারে প্রায়ই উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যারের তুলনায় বেশি বৈশিষ্ট্য থাকে, উদাহরণস্বরূপ, ওয়ার্ড এবং এক্সেল সহ সমস্ত [[মাইক্রোসফট অফিস]] অ্যাপ্লিকেশনগুলোকে একই সাথে একই কাজে কাজ করার জন্য একসাথে লিঙ্ক করা যেতে পারে।
=== সমালোচনা ===
মালিকানাধীন সফটওয়্যারের একটি প্রধান সমালোচনা হলো যে এই ধরণের সফটওয়্যারের বেশিরভাগই কেবল ক্রয়ের মাধ্যমে পাওয়া যায়। এই ধরণের সফটওয়্যারের দামের পরিসর সস্তা থেকে শুরু করে খুব ব্যয়বহুল পর্যন্ত হতে পারে, উদাহরণস্বরূপ, [[উইন্ডোজ ১০|Windows ১০]] £২৯.৯৯ পর্যন্ত সস্তা হতে পারে। এটি [[অ্যাডোবি ফটোশপ|Adobe Photoshop]] এর মতো অন্যান্য প্রোগ্রামের দাম £২০০০ এ কেনা যাবে। দামের এই পরিসরটি সাধারণ ব্যবহারকারীর জন্য খুবই বিরক্তিকর হতে পারে কারণ একটি কম্পিউটার প্রোগ্রামের জন্য হাজার হাজার পাউন্ড খরচ করা খুবই অযৌক্তিক বলে মনে হয়। মালিকানাধীন সফটওয়্যারের আরও একটি সমালোচনা হলো এর সোর্স কোড দেখতে এবং প্রোগ্রামের কোডিং পরিবর্তন করতে না পারা। ব্যবসায়িক জগতে বিদ্যমান চাহিদা এবং প্রয়োজনীয়তা ক্রমাগত পরিবর্তিত হচ্ছে। এই ক্রমাগত পরিবর্তনশীল পরিবেশের সাথে, মালিকানাধীন সফটওয়্যার প্রায়ই তাদের গ্রাহকদের চাহিদার সাথে তাল মিলিয়ে চলতে পিছিয়ে পড়তে পারে। এটি উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যারের বাজার উন্মুক্ত করে দেয় কারণ ব্যবহারকারীরা চাইলে তাদের উদ্দেশ্য অনুসারে সফটওয়্যারের কার্যকারিতা পরিবর্তন করতে পারেন। মালিকানাধীন সফটওয়্যারে কাস্টমাইজেশন এবং স্ব-উন্নতির অভাবের কারণেই অনেক মানুষ উন্মুক্ত উৎসের সিস্টেম ব্যবহার করতে পছন্দ করে।
=== ওপেন সফটওয়্যার বনাম মালিকানাধীন সফটওয়্যার ===
ওপেন সফটওয়্যার মূলত এমন একটি সফটওয়্যার যা সকলের জন্য বিনামূল্যে এবং প্রাপ্যতাযোগ্য। এটি তাদের চাহিদা পূরণের জন্য প্রোগ্রামটি পরিবর্তন করতে দেয়। এটি অনেক কম্পিউটিং ভক্তদের বিশ্বাস করা অনেক মূল থিম এবং ধারণার একটি অনুসরণ করে। তবে একটি খুব বড় নিরাপত্তা ঝুঁকি রয়েছে এবং ওপেন সফটওয়্যার ব্যবহার করার সময় অনেক লাইসেন্সিং আইন বিবেচনায় নিতে হয়। অন্যদিকে মালিকানাধীন সফটওয়্যার আছে যা অর্থায়ন করা হয় এবং আপনাকে এর জন্য অর্থ প্রদান করতে হবে। এর একটি গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ হলো উইন্ডোজ এক্সপি। প্রায়শই মালিকানাধীন সফটওয়্যার হ্যাকারদের তাদের সিস্টেমে থাকা যেকোনো ত্রুটি বা বাগ কাজে লাগাতে বলে। কিন্তু যখন সমস্যাটি শনাক্ত করা হয়, তখন প্রায়ই তারা এই সমস্যা সমাধানের জন্য কিছু করে না। কারণ এতে অন্যান্য পক্ষের আগ্রহ থাকে। ওপেন সফটওয়্যার খুবই উপকারী কারণ এটি একাধিক ব্যক্তিকে একই জিনিসে একসাথে কাজ করার সুযোগ দেয়, যেমন এই প্রকল্পটি। এটি খুবই কার্যকর, ব্যক্তিদের অন্যদের কাজ পর্যালোচনা করার সুযোগ করে দেওয়ার ফলে আরও সমস্যা চিহ্নিত এবং সমাধান করা হবে। ব্যবহারে খুবই উপকারী, ওপেন সফটওয়্যার আপনাকে একসাথে একাধিক ব্যবহারকারী রাখার সুযোগ দেয়, তবে এটির অপব্যবহার না করা গুরুত্বপূর্ণ। কোনও বাগ-মুক্ত সফটওয়্যার নেই, এটি ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং আরও ভালোর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। প্রোপ্রাইটারি সফটওয়্যারে CLI-এর বিপরীতে GUI এবং ইন্টারঅ্যাকশন বেশি থাকে। এটি সাধারণত ওপেন সফটওয়্যারের সাথে সম্পর্কিত। একটি GUI (গ্রাফিক্যাল ইউজার ইন্টারফেস) মূলত ছবির একটি সিরিজ, একটি মেনু। এটি দ্রুত এবং সহজেই ঘুরে দেখা যায় এবং ব্যবহার করা যায়। এটি এমন ব্যবহারকারীদের জন্য খুবই উপকারী যারা কম্পিউটার শিক্ষিত নন এবং কেবল দ্রুত প্রযুক্তি ব্যবহার করতে চান।
== উন্মুক্ত উৎসের ও মালিকানাধীন সফটওয়্যারের ভবিষ্যৎ ==
উন্মুক্ত উৎসের পূর্ব-বিদ্যমান নকশা এবং ব্লুপ্রিন্টের পরিবর্তন এবং পুনর্বণ্টনকে সর্বজনীনভাবে অবাধে উপলব্ধ করার সুযোগ দেয়। প্রোগ্রামিংয়ের ক্ষেত্রে ওপেন সোর্সের ভবিষ্যৎ নিঃসন্দেহে অনেক প্রোগ্রামার এবং ব্যবসার দ্বারা ব্যবহৃত হতে থাকবে। [http://www.zdnet.com/ ZDNet] দ্বারা পরিচালিত একটি জরিপে দেখা গেছে, ৭৮% কোম্পানি তাদের অনুশীলনে উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যার ব্যবহারের সাথে খাপ খাইয়ে নিয়েছে। এটি একটি স্মরণীয় পদক্ষেপ কারণ ২০১০ সালে "ওপেন সোর্সের ভবিষ্যৎ" জরিপের প্রতিক্রিয়ায়, মাত্র ৪২% কোম্পানি বলেছিল যে তারা OSS ব্যবহার করে। ৯৩% বলেছেন যে গত বছর ধরে ওপেন সোর্সের ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়েছে অথবা স্থির রয়ে গেছে। বর্তমানে, ৬৪% কর্পোরেশন উন্মুক্ত উৎসের প্রকল্পে অংশগ্রহণ করে - যা ২০১৪ সালের তুলনায় ১৪% বেশি। উন্মুক্ত উৎসের প্রকল্পে কোম্পানিগুলোর সম্পৃক্ততার অদূর ভবিষ্যতের পূর্বাভাস ৮৮%-এ উন্নীত হবে বলে আশা করা হচ্ছে <ref>http://www.zdnet.com/article/its-an-open-source-world-78-percent-of-companies-run-open-source-software/</ref>
একজন প্রোগ্রামার হিসেবে উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যারের ভবিষ্যৎ ইতিমধ্যেই তাদের দৈনন্দিন জীবনের অংশ। একজন আধুনিক প্রোগ্রামার হিসেবে, আপনার বর্তমান প্রকল্পগুলোর বেশিরভাগই ইতিমধ্যেই অন্যান্য প্রোগ্রামাররা তাদের বিনামূল্যে উপলব্ধ কোড Github-এর মতো ওয়েবসাইটে রেখে সম্পন্ন করেছেন। এর ফলে ব্যবহারকারীরা এই উন্মুক্ত উৎসের প্রকল্পগুলো ডাউনলোড এবং শেয়ার করতে পারবেন। <ref>https://github.com/github</ref> আজকাল প্রোগ্রামাররা ইতিমধ্যেই করা কোড পুনরায় লিখতে চান না। অদূর ভবিষ্যতে, প্রোগ্রামাররা কেবল উন্মুক্ত উৎসের কোডের কিছু অংশ নেবে এবং সেই প্রকল্পটিকে আরও অনেকের সাথে একত্রিত করে একটি চূড়ান্ত প্রকল্প তৈরি করবে। এটি বিভিন্ন দক্ষতা স্তরের প্রোগ্রামারদের এই উন্মুক্ত উৎসের প্রকল্পগুলো বুঝতে এবং বাস্তবায়ন করতে সাহায্য করে, এছাড়াও প্রোগ্রামারদের একটি প্রকল্প সম্পূর্ণ করার জন্য সময় এবং অর্থ সাশ্রয় করে।
উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যারের ভবিষ্যৎ আমাদের সমাজের প্রযুক্তির অগ্রগতির উপর নাটকীয় প্রভাব ফেলবে। এর একটি উদাহরণ হতে পারে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি হেডসেট, ওকুলাস রিফট। এই হেডসেটের সম্পূর্ণ সোর্স কোড ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে জনসাধারণের জন্য প্রকাশ করা হয়েছিল। <ref>http://www.forbes.com/sites/jasonevangelho/2014/01/10/rumor-oculus-rift-will-launch-summer-2014-for-less-than-499/#fe6788046985</ref> এই হেডসেটটি সম্পূর্ণরূপে উন্মুক্ত উৎসের হওয়ার পর এই পণ্যটির অগ্রগতি অসাধারণ। ২০১৪ সালে ওকুলাস রিফটসের সোর্স কোড প্রকাশের পর এটি স্যামসাং গিয়ার ভার্চুয়াল রিয়েলিটি হেডসেটের মতো নতুন ভার্চুয়াল রিয়েলিটি হেডসেটগুলো বুঝতে এবং তৈরি করতে সহায়তা করেছে। <ref>http://www.samsung.com/uk/consumer/mobile-devices/wearables/gear/SM-R320NPWABTU</ref>
বিল গেটস ১৯৯৪ সালের পর জন্মগ্রহণকারী শিশুদের ইন্টারনেটের সাথে বেড়ে ওঠা প্রথম প্রজন্ম হিসেবে উল্লেখ করেছেন। ১০-১২ বছর বয়সী ৯০% শিশু অনলাইন গেম খেলে। <ref>https://hbr.org/2012/04/the-mobile-re-generation</ref> যেহেতু এই শিশুদের মধ্যে প্রযুক্তি তাদের জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ, তাই এখন অনেক স্কুলে প্রোগ্রামিং শেখানো হচ্ছে। শিশুদের প্রোগ্রামিং দক্ষতা বিকাশের জন্য এখন প্রোগ্রামিং ক্লাব প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। <ref>http://coderdojostirling.com/</ref> এর থেকে বোঝা যায়,প্রযুক্তির ব্যবহার বছরের পর বছর ধরে বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে ওপেন সোর্সের ব্যবহারও বৃদ্ধি পাবে। সকল বয়সের শিশুরা তাদের নিজস্ব আনন্দের জন্য প্রকল্পগুলো সম্পন্ন করার জন্য উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যার ব্যবহার করে। এখন স্কুলে শিশুরা প্রোগ্রামিং শিখছে, তাই অনলাইন ইন্টারেক্টিভ প্রোগ্রামিং ক্লাসগুলো ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। <ref>https://www.codecademy.com/learn</ref> বেশিরভাগ মানুষের কাছে ইন্টারনেট সহজলভ্য হওয়ার সাথে সাথে, এই ইন্টারেক্টিভ প্রোগ্রামিং ক্লাসের ব্যবহার ক্রমশ বৃদ্ধি পাবে। এর অর্থ হলো, যত বেশি মানুষ প্রোগ্রামিং শিখবে, ওপেন সোর্সের ব্যবহার তত বাড়বে।
'উন্মুক্ত উৎসের গ্রাহক এবং ব্যবসার মধ্যে স্বাধীনতা প্রদান করে', <ref>http://open-source.gbdirect.co.uk/migration/benefit.html#flexibilityfreedom</ref> কিছু মালিকানাধীন সফটওয়্যার নমনীয় বলে দাবি করে কিন্তু নমনীয়তা সৃজনশীলতাকে বোঝায় এবং উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যার ব্যবহারের মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা কোনও সীমা ছাড়াই তাদের নিজস্ব প্রয়োজনের জন্য নিজস্ব সফটওয়্যার তৈরি করতে পারে। উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যার ব্যবহারকারীদের নিয়ন্ত্রণে থাকতে, তাদের নিজস্ব সিদ্ধান্ত নিতে এবং তারা যা চায় তা করতে সাহায্য করে। <ref>http://www.pcworld.com/article/209891/10_reasons_open_source_is_good_for_business.html</ref> আজকাল মানুষ জানে তারা কী চায় এবং কীভাবে তারা কাজ করতে চায়, এবং প্রযুক্তি আমাদের জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে ওঠার সাথে সাথে উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যারের ব্যবহারও বৃদ্ধি পাবে।
মানুষ এমন ব্যক্তি যারা নিজের সিদ্ধান্ত নিতে এবং স্বাধীনভাবে কাজ করতে পছন্দ করে এবং উন্মুক্ত উৎসের এই ধারণাকে সম্পূর্ণরূপে সমর্থন করে। ওপেন সোর্সের ভবিষ্যৎ খুবই ইতিবাচক দেখাচ্ছে; বর্তমানে এটি ইতিমধ্যেই প্রযুক্তিগত জীবনযাত্রার একটি সমন্বিত অংশ। সাধারণত, আজকাল উৎপাদিত প্রতিটি সফটওয়্যারের উন্নয়নে উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যার ব্যবহার করা হয়। বছরের পর বছর ধরে প্রযুক্তিগত অগ্রগতি উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যার ব্যবহারের দ্বারা ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হয়েছে। কারণ প্রতিটি প্রোগ্রামারের হাতে বিশাল ডেভেলপার রয়েছে। এছাড়াও ১৯৯৪ সালের পরে জন্ম নেওয়া শিশুদের দৈনন্দিন জীবনে এখন প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু হয়েছে, তাদের ছোটবেলা থেকেই প্রোগ্রামিং শেখানো হচ্ছে এবং ব্যক্তিরা অনলাইনে ইন্টারেক্টিভ প্রোগ্রামিং ক্লাসেও অংশগ্রহণ করছে। প্রযুক্তির ক্রমাগত অগ্রগতি এবং ব্যবহারের সাথে সাথে এটি অনিবার্য যে সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্টের ক্ষেত্রে উন্মুক্ত উৎসের ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হবে কারণ এর অনেক সুবিধা রয়েছে। ভবিষ্যতেও উন্মুক্ত উৎসের ব্যবহার অব্যাহত থাকবে, তবে উন্মুক্ত উৎসের ইতিমধ্যেই প্রযুক্তিগত উন্নয়নের একটি সমন্বিত অংশ। '''ভবিষ্যৎ এখানেই।'''
== শব্দকোষ ==
== শব্দকোষ ==
সমস্ত শর্তাবলী ইন্টারনেট অফ এভরিথিংয়ের উপরের অধ্যায় থেকে নেওয়া হয়েছে। সমস্ত সংজ্ঞা উইকিপিডিয়া এবং অক্সফোর্ড অভিধান থেকে নেওয়া হয়েছে।
4Chan 4chan একটি ইংরেজি ভাষার ইমেজ বোর্ড ওয়েবসাইট। ব্যবহারকারীরা সাধারণত বেনামে পোস্ট করেন, সাম্প্রতিকতম পোস্টগুলি বাকিগুলির উপরে প্রদর্শিত হয়। 4chan তাদের নিজস্ব নির্দিষ্ট সামগ্রী এবং নির্দেশিকা সহ বিভিন্ন বোর্ডে বিভক্ত। রেজিস্ট্রেশনের প্রয়োজন হয় না, বা এটি সম্ভব নয় (স্টাফ ব্যতীত)।
অ্যান্ড্রয়েড একটি অপারেটিং সিস্টেমের নাম, প্রধানত ম্যাক নয় এমন ডিভাইসগুলিতে ব্যবহৃত হয়।
অনামী অ্যানোনিমাস অ্যাক্টিভিস্ট এবং হ্যাক্টিভিস্ট সত্তাগুলির একটি আলগাভাবে যুক্ত আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক। এই গোষ্ঠীর সাথে নামমাত্র যুক্ত একটি ওয়েবসাইট এটিকে "একটি ইন্টারনেট সমাবেশ" হিসাবে বর্ণনা করে "একটি খুব আলগা এবং বিকেন্দ্রীভূত কমান্ড কাঠামো যা নির্দেশের পরিবর্তে ধারণার উপর কাজ করে"
লেখক লেখার পেশা, লেখার উৎস (লেখক হিসাবে) লেখা, সঙ্গীত বা শিল্পের একটি অংশ।
ক্রিয়েটিভ কমন্স ক্রিয়েটিভ কমন্স একটি অলাভজনক সংস্থা যা বিনামূল্যে আইনি সরঞ্জামগুলির মাধ্যমে সৃজনশীলতা এবং জ্ঞান ভাগ করে নেওয়া এবং ব্যবহার সক্ষম করে।
জ্ঞানীয় লোড ওয়ার্কিং মেমরিতে ব্যবহৃত মানসিক প্রচেষ্টার পরিমাণ।
কাস্টমাইজেবিলিটি আপনাকে আপনার প্রয়োজন অনুসারে কিছু কাস্টমাইজ এবং সম্পাদনা করার অনুমতি দেওয়ার কাজ।
ডারউইন উন্মুক্ত উৎসের ইউনিক্স অপারেটিং সিস্টেম যা অ্যাপল দ্বারা নির্মিত এবং ২০০০ সালে মুক্তি পায়।
বিকেন্দ্রীকরণ একটি কেন্দ্রীয় অবস্থান বা কর্তৃপক্ষ থেকে দূরে ফাংশন, ক্ষমতা, মানুষ বা জিনিস পুনরায় বিতরণ বা ছড়িয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া।
ডিজিটাল রাইটস ম্যানেজমেন্ট (DRM) বিভিন্ন প্রাপ্যতা কন্ট্রোল প্রযুক্তি যা মালিকানাধীন হার্ডওয়্যার এবং কপিরাইটযুক্ত কাজগুলির ব্যবহার সীমাবদ্ধ করতে ব্যবহৃত হয়।
একটি নির্দিষ্ট শাসক বা সরকার দ্বারা মালিকানাধীন বা নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলের একটি এলাকা ডোমেন
গুটেনবার্গ ছাপাখানার স্রষ্টা।
হ্যাকার একজন ব্যক্তি যিনি ডেটাতে অননুমোদিত প্রাপ্যতা অর্জনের জন্য কম্পিউটার ব্যবহার করেন।
হ্যাক্টিভিজম হ্যাক্টিভিজম হ'ল রাজনৈতিক বা সামাজিকভাবে অনুপ্রাণিত উদ্দেশ্যে হ্যাকিং বা কম্পিউটার সিস্টেমে প্রবেশ করার কাজ। যে ব্যক্তি হ্যাক্টিভিজমের কাজ করে তাকে হ্যাক্টিভিস্ট বলা হয়।
হার্ডওয়্যার বস্তু যা বাস্তব। এটি আপনি শারীরিকভাবে স্পর্শ করতে এবং সরাতে পারেন। কম্পিউটার হার্ডওয়্যার স্পিকার, কীবোর্ড ইত্যাদি নিয়ে গঠিত।
ল্যাম্প একটি অ্যাব্রেভিয়েশন যা একটি কম্পিউটারের অপারেটিং সিস্টেমকে কভার করে। লিনাক্স, অ্যাপাচি, মাইএসকিউএল, পিএইচপি।
লিনাক্স সফটওয়্যারটির একটি অংশ যা উন্মুক্ত উৎসের ও আপনাকে নিজের অপারেটিং সিস্টেমটি সম্পূর্ণ করতে এবং লিখতে সক্ষম করে। অপারেটিং সিস্টেম ইউনিক্সের ভিত্তি ব্যবহার করে।
মেমস একটি প্রযুক্তি যা তার সবচেয়ে সাধারণ আকারে ক্ষুদ্র যান্ত্রিক এবং ইলেক্ট্রো-মেকানিক্যাল উপাদান (যেমন, ডিভাইস এবং কাঠামো) হিসাবে সংজ্ঞায়িত করা যেতে পারে যা কৌশলগুলি ব্যবহার করে তৈরি করা হয় মাইক্রো ফ্যাব্রিকেশন।
মাইক্রোসফট অফিস মাইক্রোসফট অফিস সিস্টেম মাইক্রোসফট দ্বারা তৈরি কম্পিউটার প্রোগ্রামগুলির একটি সংগ্রহ। প্রোগ্রাম সব ব্যবহারকারীর জন্য তৈরি করা হয়। হোম ব্যবহারকারীদের জন্য এবং ব্যবসায়িক ব্যবহারকারীদের জন্য সফটওয়্যারটির বিভিন্ন সংস্করণ রয়েছে।
নাসা ন্যাশনাল অ্যারোনটিক্স অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন।
ই এম এর নির্মাতারা যারা নিজের নামে এবং ব্র্যান্ডিংয়ের অধীনে অন্য সংস্থার পণ্য পুনরায় বিক্রয় করে।
ওপেন অফিস একটি উন্মুক্ত উৎসের অফিস প্রোডাক্টিভিটি স্যুট। সফটওয়্যার মাইক্রোসফট উইন্ডোজ, অ্যাপল ম্যাকস এবং লিনাক্স সহ সমস্ত প্রধান অপারেটিং সিস্টেমের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
উন্মুক্ত উৎসের এমন সফটওয়্যার নির্দেশ করা যার জন্য মূল উত্স কোডটি বিনামূল্যে উপলব্ধ করা হয়েছে এবং পুনরায় বিতরণ এবং সংশোধন করা যেতে পারে।
মেরুকরণ সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে (একটি ট্রান্সভার্স তরঙ্গ, বিশেষত আলো) এর কম্পনকে এক দিকে সীমাবদ্ধ করুন।
গোপনীয়তা এমন একটি রাষ্ট্র যেখানে কেউ অন্য লোকেদের দ্বারা পর্যবেক্ষণ বা বিরক্ত হয় না।
মালিকানা সফটওয়্যার যা কোনও ব্যক্তি বা সংস্থার মালিকানাধীন (সাধারণত এটি বিকাশকারী)। এর ব্যবহারের উপর প্রায় সর্বদা বড় বিধিনিষেধ রয়েছে এবং এর উত্স কোডটি প্রায় সর্বদা গোপন রাখা হয়।
সার্ভার একটি কম্পিউটার বা কম্পিউটার প্রোগ্রাম যা একটি নেটওয়ার্কে একটি কেন্দ্রীভূত সম্পদ বা পরিষেবা প্রাপ্যতা পরিচালনা করে।
সফটওয়্যার একটি কম্পিউটার দ্বারা ব্যবহৃত প্রোগ্রাম এবং অন্যান্য অপারেটিং তথ্য।
সিস্টেম একটি প্রক্রিয়া বা একটি আন্তঃসংযোগকারী নেটওয়ার্কের অংশ হিসাবে একসাথে কাজ করা জিনিসগুলির একটি সেট; একটি জটিল সমগ্র।
টেলিটেক্সট পাঠ্য এবং গ্রাফিক্স আকারে একটি সংবাদ এবং তথ্য পরিষেবা, উপযুক্ত রিসিভার সহ টেলিভিশনগুলিতে বিদ্যমান টেলিভিশন চ্যানেলগুলির অতিরিক্ত ক্ষমতা ব্যবহার করে প্রেরণ করা হয়।
loi2mi5ihkvkgr2i9eh46l5inr0ggs6
85816
85815
2025-07-08T04:26:06Z
MS Sakib
6561
85816
wikitext
text/x-wiki
= উন্মুক্ত উৎসের ও মালিকানাধীন প্রযুক্তি =
== ভূমিকা ==
[[সবকিছুর জন্যেই ইন্টারনেট?|"সবকিছুর জন্যেই ইন্টারনেট?"]] উইকিবইয়ের এই অধ্যায়ে উন্মুক্ত উৎসের ও মালিকানাধীন প্রযুক্তির মূল ধারণাগুলো অন্বেষণ করা হবে। ১৯৭০-এর দশকে শুরু হওয়া এই দুই ধরণের সফটওয়্যারের ঐতিহাসিক বিকাশ তাদের স্রষ্টা, অবদানকারী এবং তৈরি প্রযুক্তিগত পণ্যের সূত্রের সঙ্গে পরীক্ষা করা হবে। ১৯৮০ এবং ১৯৯০ এর দশকে উন্নয়ন অব্যাহত থাকার সাথে সাথে [[হ্যাকার সংস্কৃতি|'হ্যাকারদের']] ব্যাপকতা এবং গুরুত্ব আরও প্রাসঙ্গিক হয়ে ওঠে। বিষয়কে ঘিরে নৈতিক যুক্তিগুলোও তাই। এই অধ্যায়ে দুটি বিপরীতমুখী সফটওয়্যারের পরিপ্রেক্ষিতে মেধাস্বত্ব বা [[w:মেধাস্বত্ব|কপিরাইট]] এবং [[w:ক্রিয়েটিভ কমন্স লাইসেন্স|ক্রিয়েটিভ কমন্সের]] ধারণাগুলোও বিশ্লেষণ করা হবে। দুটি ভিন্ন সফটওয়্যারের গভীর বিশ্লেষণের মাধ্যমে তাদের ক্ষমতার সুবিধা-অসুবিধা সম্পর্কে আলোচনা করা হবে। উন্মুক্ত উৎসের ও মালিকানাধীন সফটওয়্যারের এই ভিত্তিগত গবেষণা ব্যবহার করে এই অধ্যায়টি দুটি সফটওয়্যারের সমসাময়িক উদাহরণ, তাদের অ্যাপ্লিকেশন এবং একই সাথে একাধিক প্ল্যাটফর্মে কাজ করার ক্ষেত্রে তাদের কার্যকারিতা সম্পর্কিত বিতর্কগুলো পর্যালোচনা করা হবে।
== উন্মুক্ত ও মালিকানাধীন সফটওয়্যারের ইতিহাস ==
একজন লেখক এবং লেখকত্বের সারমর্ম হোমার প্রবর্তন করেছিলেন। আগেকার গল্পগুলো মুখে মুখে বলে পরিবেশিত হত। ফলে মূল দুটি গল্প কখনও হুবুহু এক হতো না। "বার্ড"দের পরিবেশিত এসব গল্পে উন্মুক্ত বাক্যাংশ ব্যবহার করে একটি গল্পের ভিত্তি তৈরি করা হতো। তবে প্রতি দুইটি গল্প একই হতো কিনা, তা এখানে নিশ্চিত করা হতো না।
হোমারই প্রথম ব্যক্তি যিনি কাগজে কলম লাগিয়ে (অর্থাৎ হাতে লিখে) একটি প্রতিলিপি তৈরি করেছিলেন। এর একটি প্রধান উদাহরণ হলো '[[w:ওডিসি|দ্য ওডিসি]]'। এই নতুন ধারণাটি চালু হওয়ার সাথে সাথে হোমার একটি কাল্পনিক জগতকে বৈধতা দিয়েছিলেন। একজন লেখক হওয়ার সাথে সাথেই লেখা বিতরণের চারপাশে একটি সৃজনশীল শিল্প শুরু হয়। লেখার পিছনে কেন আমাদের প্রক্রিয়া আছে এবং কীভাবে সেগুলো কাজ করে এবং বিতরণ করা হয়, সে সম্পর্কে লেখকরা গুরুত্বপূর্ণ। হোমার কপিরাইট আইন ও রয়্যালটির ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।
হোমার প্রতিলিপি লেখার আদর্শ প্রবর্তন করার পর এটি স্পষ্ট হয়ে ওঠে। রখন লেখার কপি ছিল সীমিত। কারণ প্রতিটি কপি হাতে লিখতে হতো। প্রায়ই এসব তৈরি করতে কয়েক মাস পর্যন্ত সময় লাগত। এরপর গুটেনবার্গ ১৫০০ সালের দিকে প্রথম ছাপাখানা চালু করেন। এর ফলে কপি করা দ্রুততর হয় এবং লেখকদের পাঠক সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। শেক্সপিয়র মূলত এভাবেই খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। কারণ তিনি দ্রুত ধারাবাহিকভাবে প্রচুর প্রতিলিপি তৈরি করতে সক্ষম হয়েছিলেন। তবে আধুনিক সমাজে আমরা এই যুগান্তকারী আবিষ্কারটিকে হালকাভাবে নিই। কারণ আমরা কোনও দ্বিধা ছাড়াই মূল মালিককে এর রয়্যালটি বা স্বীকৃতি না দিয়েই কোনও কাজের অনুলিপি তৈরি করতে পারি।
বিভিন্ন প্রতিলিপি প্রাপ্যতা করার দ্রুততার কারণে একটি রেজিস্টার বাস্তবায়ন করা হয়েছিল, যাতে কেবলমাত্র নির্দিষ্ট কিছু প্রত্যয়িত ছাপাখানাগুলোকে কেবল নির্দিষ্ট প্রতিলিপি মুদ্রণের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। তাদের একটি নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে মুদ্রণের অনুমতিপ্রাপ্ত সংখ্যার উপরও একটি সীমা ছিল। লেখক যাতে তাদের শ্রেষ্ঠ রচনাগুলোর জন্য খ্যাতি ও বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করতে পারেন, সেজন্য এটি চালু করা হয়েছিল। স্পষ্টতই এটি ১৫০০ এর দশকের পাশাপাশি এর পরেও ব্যবহৃত হয়েছিল। আজকের আধুনিক যুগে আমরা লেখকত্ব এবং রয়্যালটি সমর্থন করার জন্য ক্রমাগত কপিরাইট আইন প্রয়োগ করছি।
=== <u>১৯৮০ সালের পূর্ববর্তী</u> ===
==== ইউনিক্স ====
বলা হয় [http://www.unix.org/ ইউনিক্স] হলো কম্পিউটিংয়ের প্রযুক্তিগত অগ্রগতির সূচনা। ১৯৭০-এর দশকের গোড়ার দিকে এটি ছিল সি প্রোগ্রামিং ভাষায় লেখা প্রথম অপারেটিং সিস্টেম। এর মূল স্রষ্টা কেন থম্পসন এবং ডেনিস রিচি ছিলেন বলে বিশ্বাস করা হয়।<ref>http://www.unix.org/what_is_unix/history_timeline.html</ref> এটি ছিল প্রথম উন্মুক্ত উৎসের অপারেটিং সিস্টেম যা যে কেউ বিনামূল্যে যোগ করতে, উন্নত করতে এবং উন্নত করতে পারত।<ref>http://www.unix.org/what_is_unix.html</ref> লিনাক্স সহ এখন পর্যন্ত বেশিরভাগ অপারেটিং সিস্টেমের ভিত্তি ইউনিক্স।
=== <u>১৯৮০–১৯৮৯</u> ===
==== ইউজনেট ====
উন্মুক্ত উৎসের ও মালিকানাধীন প্রযুক্তির সূচনা ১৯৮০ এর দশকের আগেই শুরু হয়েছিল। কিন্তু এই সময়ের আগে খুব বেশি কিছু সহজলভ্য ছিল না। কারণ ১৯৮০ সালের আগে [https://en.usenet.nl/ ইউজনেটের] আগমন ঘটেনি। বিশ্বব্যাপী ভাগাভাগি এবং সহযোগিতার প্রথম উপায় ছিল ইউজনেট। ইউজনেট প্রকাশের সাথে সাথে এটি উন্মুক্ত উৎসের তথ্য ভাগাভাগি এবং ফাইল ভাগাভাগি উভয়েরই সূচনা করে।
==== গ্নু প্রকল্প/মুক্ত সফটওয়্যার আন্দোলন ====
উন্মুক্ত উৎসের ও মালিকানাধীন সফটওয়্যারের পরবর্তী ঐতিহাসিক মুহূর্ত ছিল রিচার্ড স্টলম্যানের দ্বারা গ্নু প্রকল্পের ভূমিকা। [https://www.gnu.org/ গ্নু] হলো ব্যবহারকারীদের স্বাধীনতাকে সম্মান করার আরেকটি অপারেটিং সিস্টেম প্রকল্প। বিভিন্ন উন্মুক্ত উৎসের প্রোগ্রাম দ্বারা এটি করা হয়েছে। অর্থাৎ গ্নু সফটওয়্যার নিজেই তৈরি করে না। গ্নু যখন তৈরি হয়, তখন [http://www.gnu.org/philosophy/free-software-intro.en.html "মুক্ত সফটওয়্যার আন্দোলন"] শুরু হয়েছিল। মুক্ত সফটওয়্যার আন্দোলনের ধারণা হলো কম্পিউটার ব্যবহারকারীদের একটি সম্প্রদায় গঠনের স্বাধীনতা।
==== ৩৮৬বিএসডি ====
১৯৮০-এর দশকের শেষের দিকে [http://www.386bsd.org/ 386বিএসডি-এর] কাজ শুরু হয়। ৩৮৬বিএসডি "জোলিক্স" নামেও পরিচিত। এটি ইউনিক্স থেকে আসা আরেকটি বিনামূল্যের অপারেটিং সিস্টেম। এটি ঐতিহাসিক মুহূর্তগুলোর আরেকটি অগ্রগতি কারণ এটি পরবর্তীতে ফ্রিবিএসডি এবং নেটবিএসডি-এর দিকে পরিচালিত করে।
=== <u>১৯৯০-১৯৯৯</u> ===
==== লিনাক্স ====
এই দশকটি উন্মুক্ত উৎসের ও মালিকানাধীন সফটওয়্যারকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করেছে। অগ্রগতির পাশাপাশি ১৯৯১ সালে লিনাস টরভাল্ডস লিনাক্স তৈরির সিদ্ধান্ত নেন। এটি গ্নু অপারেটিং সিস্টেমের উপর অগ্রসর হয়, যাতে একটি সম্পূর্ণ বিনামূল্যের এবং উন্মুক্ত উৎসের অপারেটিং সিস্টেম প্রদান করা যায়। লিনাক্সের প্রতিষ্ঠাতা ইউনিক্সের নিজস্ব সংস্করণ তৈরি করেছিলেন। তিনি নিজের অপারেটিং সিস্টেম তৈরি করতে চেয়েছিলেন। তবে আপনি হয়তো কল্পনা করতে পারবেন না, ১ কোটি লাইন কোড লিখতে কতটা সময় লাগবে/ তাই তিনি ইন্টারনেটে তার দৃষ্টিভঙ্গি ভাগ করে নেন। ফলস্বরূপ অনেক কম্পিউটার উৎসাহী এতে যোগ দেন। মূলত এটি ছিল একটি কম্পিউটিং সিস্টেম, যা যে কেউ তৈরি ও ব্যবহার করতে সক্ষম। অপারেটিং সিস্টেমটিকে একই সাথে বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম ও মাল্টিমিডিয়ামে সংহত করা একটি চ্যালেঞ্জ ছিল। তবে একবার কার্নেল, অপারেটিং সিস্টেমের ভিত্তি তৈরি হয়ে গেলে বাকিগুলো পালাক্রমে অনুসরণ করা হয়।
==== লাল টুপি বা রেড হ্যাট ====
১৯৯৩ সালে [https://www.redhat.com/en/open-source রেড হ্যাটের] প্রতিষ্ঠা ঘটে। রেড হ্যাট একটি লিনাক্স ডিস্ট্রিবিউশন ভিত্তিক কোম্পানি। এটি প্রমাণ করে যে উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যার অত্যন্ত লাভজনক হতে পারে। তারা তাদের নীতিবাক্য পূরণ করার চেষ্টা করে:<div align="center">
<small>"প্রতিটি সমাধান শুরু হয় সমস্যা ভাগ করে নেওয়ার মাধ্যমে। প্রযুক্তি উন্মুক্তভাবে সমৃদ্ধ হয়, যেখানে মানুষ তাদের ধারণা ভাগ করে নেওয়ার এবং অন্যদের কাজের উপর ভিত্তি করে গড়ে তোলার জন্য স্বাধীন।"</small>
<small>"সৃষ্টি সর্বদা সহযোগিতার একটি কাজ" </small>
</div>
==== MySQL/Java 1.0 ====
১৯৯৫ সালে [https://www.mysql.com/ মাইএসকিউএল] এবং প্রথম [https://java.com/en/ জাভা] সোর্স প্রোগ্রামিং ভাষা উভয়ই প্রকাশিত হয়েছিল। মাইএসকিউএল হলো একটি ওপেন-সোর্স রিলেশনাল ডাটাবেস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম। এটি ISAM ভাষার উপর ভিত্তি করে তৈরি। জাভা ১.০ এর প্রথম পাবলিক রিলিজটিও ১৯৯৫ সালে [https://www.oracle.com/sun/index.html?PHPSESSID=8fd76773d26875481e097a4a27c7a6a1 সান মাইক্রোসিস্টেমস] দ্বারা প্রকাশিত হয়েছিল। ২০০৬ সালে OpenJDK চালু হওয়ার পর সান মাইক্রোসিস্টেম সমস্ত জাভা প্যাকেজ উন্মুক্ত উৎসের প্রোগ্রাম তৈরি করে।<div align="center">
<small>জাভা ১.০ প্রতিশ্রুতি দিয়েছে "একবার লিখুন, যেকোনো জায়গায় চালান</small>
</div>
==== অ্যাপাচি ====
পরবর্তীতে দশকের শেষের দিকে আমরা [https://httpd.apache.org/ অ্যাপাচি প্রকাশের মাধ্যমে আরও অগ্রগতি দেখতে পাই।] অগ্রগতি স্থবির হয়ে পড়ার পর NCSA HTTPd সার্ভারগুলোতে সম্প্রসারণের প্রয়াসে অ্যাপাচি-র উপর ভিত্তি তৈরি করা হয়েছিল অ্যাপাচি হলো একটি অবাধে উপলব্ধ ওয়েব সার্ভার। এটি একটি উন্মুক্ত উৎসের লাইসেন্সের অধীনে বিতরণ করা হয়।
==== নেটস্কেপ ====
১৯৯৮ সালে [http://isp.netscape.com/ নেটস্কেপ] তাদের ওয়েব ব্রাউজার উন্মুক্ত উৎসের করে দেয়। মজিলা হলোনেটস্কেপের তৈরি একটি মুক্ত সফটওয়্যার সম্প্রদায়। এটি উন্মুক্ত উৎসের হওয়ার ফলে ব্যবহারকারীরা পণ্যটি ব্যবহার, বিকাশ এবং প্রসারের সুযোগ পান। <ref>https://www.mozilla.org/en-GB/</ref> এরপর মজিলা [https://www.mozilla.org/en-GB/about/ মজিলা ফায়ারফক্স] তৈরি করে।এটি আজও একটি সুপরিচিত ওয়েব ব্রাউজার।
==== ল্যাম্প ====
LAMP এর বেশিরভাগ ধারণা নিম্নরূপ।
<u>(L) লিনাক্স -</u> অপারেটিং সিস্টেম যা পুরো প্রক্রিয়াটিকে সমর্থন করে।
<u>(A) অ্যাপাচি</u> - অ্যাপাচি হলো একটি ওয়েব সার্ভার। এটি আপনাকে আপনার প্রয়োজনীয় তথ্য অর্জনের জন্য সিস্টেমের সাথে কীভাবে যোগাযোগ করতে হবে তা বলে। এটি একটি গ্রাফিক্যাল ইউজার ইন্টারফেসের (GUI) অনুরূপ। এটি সার্ভারগুলোকে একে অপরের সাথে কীভাবে ইন্টারঅ্যাক্ট করতে হয় তাও বলে।
<u>MySQL</u> বা মাইএসকিউএল হলো ডাটাবেজ। এখানেই সমস্ত তথ্য সংরক্ষণ করা হয় এবং ব্যবহারকারীর কাছে উপস্থাপন করার জন্য পুনরুদ্ধার করা হয়।
<u>PHP</u> - পিএইচপি হলো ব্যবহারকারীর কাছে সিস্টেমের সামগ্রিক সরবরাহ/ যেমন একটি মনিটর, স্পিকার এবং VDU। এটি ব্যবহারকারীকে সামগ্রিক অভিজ্ঞতা প্রদান করে।
কম্পিউটার ব্যবহারের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সবকিছুই উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যারের মাধ্যমে করা হয়।
=== <u>২০০০-২০১০</u> ===
==== ওপেনঅফিস ====
২০০০-এর দশকেও উন্মুক্ত উৎসের ও মালিকানাধীন সফটওয়্যারের অগ্রগতি অসাধারণ ছিল। ২০০১ সালে ওপেনঅফিস প্রথম প্রকাশিত হয়। এটি পরবর্তীতে [https://www.openoffice.org/ অ্যাপাচি ওপেনঅফিস], [https://www.libreoffice.org/ লিব্রেঅফিস] এবং ওরাকল ওপেনঅফিসে (এটিই একমাত্র ক্লোজড সোর্স যা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল) শাখাভুক্ত হয়। ওপেনঅফিস ছিল একটি উন্মুক্ত উৎসের অফিস স্যুট প্রোগ্রাম। এটি মাইক্রোসফট অফিসের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে।
==== উবুন্টু ====
২০০৪ সালের মধ্যেই ডেবিয়ান-ভিত্তিক লিনাক্স ডিস্ট্রিবিউশন [http://www.ubuntu.com/ উবুন্টু] মুক্তি পায়। "উবুন্টু একটি উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যার প্ল্যাটফর্ম। এটি স্মার্টফোন, ট্যাবলেট এবং পিসি থেকে শুরু করে সার্ভার এবং ক্লাউড সর্বত্র চলে।" উবুন্টুর লোগো প্রতীকটি "বন্ধুদের বৃত্ত" প্রতিনিধিত্ব করে। এটি উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যারের সাথে সহযোগিতা প্রদর্শন করে। এটি একটি অত্যন্ত ঐতিহাসিক মুহূর্ত। কারণ এখন উবুন্টুর ২৪টিরও বেশি অফিসিয়াল রিলিজ থাকার পাশাপাশি অনেক অনানুষ্ঠানিক ভার্সনও রয়েছে।
==== গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ ====
এই আলোচনায় চারজন প্রভাবশালী কম্পিউটিং প্রতিভার কথা উল্লেখ করাও গুরুত্বপূর্ণ। তারা তাদের আবিষ্কারের মাধ্যমে পুরো বিশ্বকে মুগ্ধ করেছিলেন। ১৯৪৫ সালে স্নায়ুযুদ্ধের প্রাক্কালে <u>বুশ</u> মাইক্রো ফিল্ম ব্যবহার করে প্রথম কম্পিউটার চালু করেন। তিনি বিশ্বাস করতেন, সকলেরই বিশ্ব জ্ঞানে প্রবেশাধিকার থাকা উচিত। এটি ছিল একটি অত্যন্ত কাল্পনিক পদ্ধতি। বুশ আর্থিক মূল্যের জন্য এই ক্ষেত্রটি অনুসরণ করেননি। বরং তিনি বিশ্বাস করতেন, প্রত্যেকেরই তথ্যের প্রাপ্যযোগ্যতা থাকা উচিত।<br/> এনিগমায় কাজ করার জন্য কুখ্যাত <u>টুরিং</u> এমন একটি যন্ত্র তৈরি করেছিলেন, যা যেকোনো কিছু গণনা করতে সক্ষম ছিল। এর মাধ্যমে তথ্য ইনপুট করার এবং দ্রুত ধারাবাহিকভাবে কম্পিউটিং কোডের মাধ্যমে যন্ত্রের বোধগম্য ভাষাতে রূপান্তর করার সুযোগ পাওয়া যায়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় টুরিং সরকারি কোড এবং সাইবার স্কুলে কাজ করেছিলেন। টুরিংকে একটি দল বরাদ্দ করা হয়েছিল। সেখানে তিনি জার্মান নৌ ক্রিপ্ট বিশ্লেষণের দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন। <u>এঙ্গেলবার্ট</u> যুক্তরাজ্যের অন্ধকার প্রধান প্রতিরক্ষার জন্য কাজ করেছিলেন। তিনি দৈত্যদের কাঁধে দাঁড়ানোর উপর বিশ্বাস করতেন। তিনি বুশ ও টুরিংয়ের তৈরি পূর্ববর্তী কাজগুলো ব্যবহার করতেন। রিনি অনেক দুর্দান্ত জিনিস অর্জনের জন্য এটিকে প্রসারিত করেছিলেন। সকল ডেমোর জননী ১৯৬৯। তবে অন্য তিনজনের তুলনায় <u>নেলসন</u> ছিলেন খুবই রহস্যময়। নেলসন হাইপারটেক্সট, HTTP এবং মূলত ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব (www) তৈরিতে সহায়তা করেছিলেন। তিনি জানাডু নামে পরিচিত একটি প্রোগ্রামও তৈরি করেছিলেন। ধারণা করা হয়েছিল এটি ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবের চেয়ে বেশি দক্ষ হবে। তবে আগের তিনজনের বিপরীতে নেলসন এই ধারণাটি পেটেন্ট করে ফ্র্যাঞ্চাইজির মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে চেয়েছিলেন। দুর্ভাগ্যবশত নেলসনের ক্ষেত্রে এটি কাজ করেনি। তাইবশীঘ্রই ধারণাটি ব্যর্থ হয়ে যায়। এই সংক্ষিপ্ত ইতিহাস জুড়ে একটি মূল বিষয়বস্তু হলো সামরিক বাহিনীর সাথে সম্পর্ক ও যোগাযোগ। যদি সামরিক বাহিনী এবং সম্ভবত বিশ্বযুদ্ধ না থাকত, তাহলে আমরা আজ উন্নয়নের ডিজিটাল জগতে যেখানে আছি সেখানে হয়তো থাকতাম না। এমনকি আইপি ইন্টারনেট প্রোটোকলও সামরিক বাহিনী থেকেই এসেছে। তবে একটি বিষয় নিশ্চিত, ডিজিটাল প্রযুক্তি আসলে খুবই রাজনৈতিক।
== হ্যাকার নীতি ==
=== হ্যাকারের বিবর্তন: অতীত ও বর্তমান ===
"হ্যাকার" শব্দটির সাধারণ অর্থ বিভিন্ন প্রজন্মের কাছে ভিন্ন ভিন্ন। লেভি (১৯৬৮) বলেছেন, কম্পিউটার বিজ্ঞান জগতের লোকেরা "এই শব্দটিকে উপহাসের একটি রূপ হিসেবে ব্যবহার করত। এর অর্থ হ্যাকাররা হয় অলস সামাজিকভাবে বহিষ্কৃত অথবা "অপেশাদার" প্রোগ্রামার, যারা নোংরা "অমানবিক" কম্পিউটার কোড লিখেছিল"।<ref>Levy, Steven. 1986 ''Hackers: - Heroes of the Computer Revolution''</ref> লেভি হ্যাকার কী তা বর্ণনা করেছেন। তার তুলনায় ডগলাস (২০০২) হ্যাকারদের বর্ণনা করেছেন "একটি সংস্কৃতি হিসেবে, কম্পিউটার উৎসাহীদের একটি দল যারা এমন একটি জায়গা এবং পদ্ধতিতে কাজ করে যা সঠিকভাবে কীভাবে কাজ করে তা জানার জন্য সীমাহীন কৌতূহলের অনুভূতি দ্বারা সংজ্ঞায়িত করা যেতে পারে। তবে এই জ্ঞানকে আরও বিস্তৃত সাংস্কৃতিক ধারণা দ্বারা সংজ্ঞায়িত করা হয়"। <ref>Levy, Steven. 1986 ''Hackers: - Heroes of the Computer Revolution''</ref> আবার দুটি ভিন্ন প্রজন্ম হ্যাকার কী তা বিশ্বাস করে তার দুটি ভিন্ন সংজ্ঞা দেয়। হ্যাকিংয়ের এই ইতিহাসটি একটি জটিল কিন্তু আকর্ষণীয় ক্ষেত্র। কারণ একবিংশ শতাব্দীতে আমরা হ্যাকিংকে একটি অপরাধ হিসেবে জানি। কিন্তু আজকের বিশ্বে অগ্রগতির জন্যেই এটি ব্যবহার করা হয়েছিল। আবার লেভি (২০১৬) উদ্ধৃত করেছেন, "এটি ছিল ভাগাভাগি, উন্মুক্ততা, [[বিকেন্দ্রীকরণ]] এবং যেকোনো মূল্যে মেশিনের উন্নতি এবং বিশ্বকে উন্নত করার জন্য মেশিন হাতে পাওয়ার একটি দর্শন"। এই দর্শন বা নীতিশাস্ত্র তাদের সংস্কৃতির জন্য উপহার ছিল; এমন কিছু যা আমাদের মধ্যে যাদের কম্পিউটারে মোটেও আগ্রহ নেই তাদের জন্যও মূল্যবান। হ্যাকিংয়ের বিবর্তন দেখতে পাওয়া যায় যদি কেউ হ্যাকিংয়ের এই গতিবিধিটি অধ্যয়ন করে যা বর্তমানে "অজ্ঞাত" নামে পরিচিত। কারণ এই আন্দোলনটি শুরু হয়েছিল সহজ ট্রোলিং, অপ্রীতিকর উপাদান ভাগ করে নেওয়া এবং [[ফোরচান|4chan]] ওয়েবসাইটে "মিমস" এর মতো অদ্ভুত নতুন ইন্টারনেট অভিব্যক্তি তৈরির মাধ্যমে। হ্যাকাররা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির এই পটভূমি থেকে এসেছে এবং এটিকে "হ্যাকটিভিজম"-এ রূপান্তরিত করেছে। এটি কোনও উদ্দেশ্যকে সমর্থন, অসম্মান বা ব্যাহত করার সরাসরি উদ্দেশ্য নিয়ে হ্যাকিং। এই "অজ্ঞাত" ভাবে তৈরি করেছে। এগুলো হ্যাকিং বিবর্তনের একটি সহজ ফসল এবং অনেকেই ইতিবাচক হিসেবে দেখবেন এমন কাজ করেছে। যেমন [[কু ক্লাক্স ক্লান|কু ক্লাক্স ক্ল্যানের]] সদস্যদের উন্মোচন করা।
=== সৃজনশীল বনাম অপরাধী ===
কম্পিউটারের প্রাথমিক যুগের সাথে সাথে উন্নতির জন্য সর্বদাই জায়গা ছিল। প্রতি বছর বিভিন্ন হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যার দিয়ে কম্পিউটার আপগ্রেড করা হচ্ছে। এক অর্থে হ্যাকাররা সবসময়ই বোঝাপড়ার জন্য চেষ্টা করত। কিন্তু এগিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে তারা সফটওয়্যারও আপগ্রেড করছিল। অ্যালবার্টস এবং ওল্ডেনজিয়েল (২০১৪) এর বর্ণনা অনুযায়ী হ্যাকার ছিলেন একজন ব্যক্তি "যিনি ইচ্ছাকৃতভাবে বাইরের ব্যক্তির ভূমিকা বেছে নেন, জটিলতাগুলো আয়ত্ত করতে হয়, তালা ভাঙতে হয় এবং বহিষ্কারকে অনুপ্রবেশের মাধ্যমে মোকাবেলা করতে হয়"। তারা আরও ব্যাখ্যা করে, হ্যাকাররা "কোনও ক্ষতি না করার জন্য" অনুপ্রবেশের একটি ছাপ রেখে যেতে চেয়েছিল। বিশ্বজুড়ে হ্যাকার সংস্কৃতিকে ভিন্নভাবে দেখা হয়। অনেক দেশ এই সংস্কৃতিকে বিভিন্ন রূপে ব্যবহার করে। উদাহরণস্বরূপ, যুগোস্লাভ কিশোর-কিশোরী এবং ছাত্ররা পার্টি ও সঙ্গীতের উপসংস্কৃতির অংশ হিসেবে কম্পিউটার "ঝাঁকুনি" দিত। অন্যদিকে ফিনিশ গণতন্ত্রগুলো এটিকে "উদীয়মান প্রোগ্রামারদের তাদের কাজ দেখানোর জন্য" "অনুষ্ঠানের আচার" হিসেবে ব্যবহার করত। অন্যদিকে [[Wau holland|"ওয়াউ হল্যান্ড"]] নামে একজন জার্মান হ্যাকারের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক কার্যকলাপের অভিযোগ আনা হয়েছিল। এর মাধ্যমে তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে একটি ব্যাংকের নিরাপত্তা ত্রুটিগুলো দেখানোর জন্য হ্যাক করেছিলেন। তারা যে সিস্টেমটি হ্যাক করছিল তা ছিল একটি নতুন সিস্টেম যা ব্যাংকটি একটি ইন্টারেক্টিভ টেলিটেক্সট সিস্টেম ( [[Btx (form factor)|Btx]] ) স্থাপন করেছিল। এর প্রধান নিরাপত্তা ত্রুটি ছিল। হ্যাকাররা পাসওয়ার্ডগুলো হেরফের করতে এবং ট্র্যাক করতে সক্ষম হয়েছিল। এই কাজ করে হল্যান্ড এবং তার সহযোগী এক রাতে তাদের অ্যাকাউন্টে €১৩৫,০০০ ট্রান্সফার করতে সক্ষম হন। তাদের ব্যাংক হ্যাক করার চার বছর পর ওয়ার্নারিকে আরও কম্পিউটার অপরাধের জন্য ফ্রান্সে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। ১৯৮৬/৮৭ সালে [[নাসা|নাসার]] মতো সরকারি কর্তৃপক্ষ এবং গবেষণা সংস্থাগুলোর ব্যবহৃত VAX কম্পিউটারগুলোতে একটি বাগ আবিষ্কার করে হ্যাকাররা এই কম্পিউটারগুলোতে প্রাপ্যতা পেতে সক্ষম হয়। এরপর তার বিরুদ্ধে ১০০টি কম্পিউটার থেকে ডেটা প্রাপ্যতা, কপি এবং ধ্বংস করার অভিযোগ আনা হয়। হ্যাকিং জগতের অপরাধমূলক দিকের আরেকটি উদাহরণ হতে পারে ১৯৯০ সালের AT&amp;T-এর দূরপাল্লার টেলিফোন সুইচিং সিস্টেমটি ক্র্যাশ করার ঘটনা। স্টার্লিং (১৯৯৪) ব্যাখ্যা করেছেন, এই দুর্ঘটনার সময় ৬০,০০০ মানুষ নয় ঘন্টার জন্য টেলিফোন পরিষেবা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল। এটি শুরু হয়েছিল কারণ ম্যানহাটনের একটি সুইচিং-স্টেশন AT&T-এর নিজস্ব সিস্টেমে পাওয়া একটি বাগের কারণে ক্র্যাশ হয়ে গিয়েছিল।
=== কম্পিউটার/হ্যাকিং নীতিশাস্ত্রের গঠন ===
হ্যাকিংয়ের ক্ষেত্রে আমরা জানি যে মানুষ বিভিন্ন কারণে এটি করে। ভালো হোক বা খারাপ, তুলনা করার মতো কোনও মধ্যম ক্ষেত্র নেই। টেলর (১৯৯৯:১৩৬) যা বর্ণনা করেছেন যে "হ্যাকিংয়ের নৈতিক জটিলতার মুখোমুখি হলে, তারা এবং আমাদের পরিস্থিতির মেরুকৃত অবস্থানের মধ্যে থাকা নৈতিক নিশ্চিততাগুলো গ্রহণ করার প্রলোভন দেখা দেয়"। গত দশকে প্রযুক্তির অগ্রগতির সাথে সাথে, এটি হ্যাকিং প্রজন্মকে তাদের নিজস্ব জ্ঞান, নতুন হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যার উন্নত করার জন্য বিভিন্ন খেলার মাঠ উপহার দিয়েছে। হ্যাকিং সম্ভব করার অন্যতম প্রধান কারণ হলো গোপনীয়তার সমসাময়িক সংস্কৃতি যা সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং অর্থনৈতিক মিথস্ক্রিয়ার একটি বৃহৎ অংশকে নিয়ন্ত্রণ করে। গোপনীয়তার কারণে হ্যাকাররা বিচ্ছিন্ন বোধ করে। কিন্তু সুবিধাও পায়। আমরা জানি হ্যাকাররা গোপনীয়তার বিরোধিতা করে, তারা নিজেদের বিরোধিতা করে, তারা যে পদ্ধতি বা পদ্ধতিটি পরিচালনা করে তা কাজে লাগিয়ে, প্রযুক্তি এবং সমসাময়িক সংস্কৃতির সাথে তাদের অবস্থানকে জটিল করে তোলে। ডগলাস (২০০২:১১৫) ব্যাখ্যা করেন যে হ্যাকিংয়ের প্রাথমিক প্রজন্মে, ধারণা, তথ্য ভাগাভাগি করার পাশাপাশি প্রযুক্তি প্রাপ্যতাের জন্য সম্প্রদায়গুলোর উপর প্রচুর নির্ভর করা হত। ১৯৫০/৬০ এর দশকে, সম্প্রদায়গুলো এমআইটি, হার্ভার্ড, কর্নেল এবং আরও কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবগুলোকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছিল। <ref>Douglas, Thomas 2002 ''Hacking Culture''</ref>
টেলর আরও বলেন,"হ্যাকাররা এমন বাচ্চাদের মতো যারা রেললাইনে দশ পেন্সের টুকরো রেখে দেখে যে এটি বাঁকছে কিনা। কিন্তু তারা বুঝতে পারে না যে তারা পুরো ট্রেনটি রেলিং থেকে নামিয়ে দেওয়ার ঝুঁকি নিচ্ছে"। হ্যাকারদের কীভাবে উপস্থাপন করা হয় তা দেখার একটি ভালো উপায় হলো "মিস্টার রোবট"। এটি এমন একটি প্রোগ্রাম যেখানে একদল হ্যাকার একটি বহুজাতিক কর্পোরেশনকে আক্রমণ করে বিশ্বকে ঋণমুক্ত করতে বদ্ধপরিকর। টেলর (১৯৯৯) উল্লেখ করেছেন,ব্যবসায়িক নীতিশাস্ত্রের একটি গবেষণার সময়, এমন কিছু বিষয় উঠে এসেছে যা দেখায় যে শিল্পের মধ্যে নীতিগত সিদ্ধান্তগুলো আরও কঠিন এবং বয়স্ক জনগোষ্ঠীর কাছ থেকে আসার প্রবণতা রয়েছে। কম্পিউটার শিল্পের সদস্যরা সাধারণত সাধারণ হ্যাকারদের তুলনায় বয়স্ক হন এবং কম্পিউটারকে তাদের দৈনন্দিন জীবনের একটি হাতিয়ার হিসেবে দেখেন, অন্যদিকে হ্যাকাররা কম্পিউটারকে একটি শখ হিসেবে দেখেন। এই বয়সের পার্থক্য সম্ভবত একটি কারণ যার জন্য নিরাপত্তা শিল্প এবং গোপন কম্পিউটারের সদস্যদের নীতিগত দৃষ্টিভঙ্গিতে মৌলিক পার্থক্য রয়েছে।
==== 'অলিখিত আইন' ====
অনেক কম্পিউটার ভক্ত এমন একটি কাঠামো অনুসরণ করেন যাকে অনেকে হ্যাকারদের বাইবেল বলে। এটি এমন কিছু অলিখিত নিয়মে। তারা বিশ্বাস করে এভাবেই সফটওয়্যার লেখা এবং সরবরাহ করা উচিত। তারা সেই অনুযায়ী আরও উন্মুক্ত এবং উদার কিছু পরিবর্তন করতে চায়। এটি মূলত সফটওয়্যারের সহজলভ্যতা এবং এটি ব্যবহার করতে ইচ্ছুক সকলের কাছে এর সহজলভ্যতার সাথে সম্পর্কিত। সকল তথ্য বিনামূল্যে থাকা উচিত। কর্তৃপক্ষের উপর অবিশ্বাস করুন, বিকেন্দ্রীকরণকে উৎসাহিত করুন। দ্বিতীয়ত এই ধারণাটি উপস্থাপন করে যে, বিশ্বজুড়ে বা এমনকি বিভিন্ন দেশে একাধিক সার্ভার থাকা উচিত। সেগুলোতে একই তথ্য জমা থাকবে, যাতে অন্য কোনও সফটওয়্যার এবং/অথবা প্রোগ্রাম ব্যর্থ হলে আপনি সর্বদা প্রাপ্যতা পেতে পারেন। একাধিক সার্ভার থাকার ফলে বৃহত্তর শ্রোতা তৈরি হবে। এর ফলে প্রোগ্রামগুলোতে সবার প্রাপ্যতা থাকার পাশাপাশি কর্মক্ষমতাও উন্নত মানের হবে। হ্যাকারদের বিচার করা উচিত তাদের হ্যাকিং দিয়ে; কোনো ডিগ্রি, বয়স, জাতি বা পদের মতো ভুয়া মানদণ্ড দিয়ে নয়। আমি বিশ্বাস করি এটি বিশেষ করে আধুনিক যুগ এবং সমাজের সাথে গভীরভাবে সম্পর্কিত যেখানে জীবনের সকল ক্ষেত্রেই সমতার জন্য লড়াই অব্যাহত রয়েছে। বিশেষ করে আজকের ডিজিটাল জগতে এমন অনেক তরুণ আছেন যারা অসাধারণ কোডিং তৈরি করতে সক্ষম যা একটি IOS সিস্টেমের মধ্যে একত্রিত করা যেতে পারে। এগুলো বিভিন্ন মাল্টি মিডিয়ামে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে পারে। আপনি কম্পিউটারে শিল্প ও সৌন্দর্য তৈরি করতে পারেন। এটি কম্পিউটিং জগতের সকল মাত্রার জন্য দায়ী, তা ডিজিটাল শিল্প, প্রোগ্রামিং, চলচ্চিত্র নির্মাণ হোক... তালিকাটি অন্তহীন। বলা বাহুল্য, সবই শিল্পের উপাদান। এগুলোকে হালকাভাবে নেওয়া উচিত নয়। কম্পিউটার জীবনকে আরও ভালোর দিকে বদলে দেয়। প্রযুক্তি ক্রমাগত বিকশিত হচ্ছে এবং উন্নতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা এখন বধির এবং অন্ধদের জন্য এমন ব্যবস্থা তৈরি করতে সক্ষম হয়েছি যা মিথস্ক্রিয়া এবং যোগাযোগের পাশাপাশি আরও অনেক কিছুতে সহায়তা করে যা অসংখ্য ব্যক্তি এবং পরিবারকে সহায়তা করে।
== ক্রিয়েটিভ কমন্স বনাম কপিরাইট ==
=== ক্রিয়েটিভ কমন্স কী? ===
২০০১ সালে লরেন্স লেসিগ, হাল অ্যাবেলসন এবং এরিক ইল্ড্রেড অলাভজনক সংস্থা '''ক্রিয়েটিভ কমন্স (CC)''' প্রতিষ্ঠা করেন। এটি অন্যদের জন্য উপলব্ধ সৃজনশীল কাজ বাড়ানোর জন্য চেষ্টা করছে। এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা আইনগতভাবে ভিত্তি করে তৈরি করতে এবং অন্যদের সাথে ভাগ করতে পারেন। ক্রিয়েটিভ কমন্স লাইসেন্সগুলি জনসাধারণের জন্য বিনামূল্যে প্রকাশিত হয়। ক্রিয়েটিভ কমন্স সম্পর্কিত প্রথম নিবন্ধটি একটি সাধারণ আগ্রহের প্রকাশনায় হাল প্লপকিনের “All Hail Creative Commons Stanford professor and author Lawrence Lessig plans a legal insurrection” (২০০২)-এ প্রকাশিত হয়। ২০০৪ সালের নভেম্বর পর্যন্ত প্রায় ৮৮০ মিলিয়ন কাজ ক্রিয়েটিভ কমন্স লাইসেন্সের আওতায় লাইসেন্সপ্রাপ্ত।<ref>[https://creativecommons.org/licenses] , About the Licenses – Creative Commons.</ref>
'''ক্রিয়েটিভ কমন্সের বিভিন্ন দিক'''
ক্রিয়েটিভ কমন্সের অনেক ধরণের আছে, যেগুলো আপনাকে বিভিন্ন উপায়ে একটি কাজ ব্যবহার করার সুযোগ দেয়। এটি ব্যক্তির লাইসেন্সের উপর নির্ভর করে। কারণ প্রতিটি কাজের সাথে আপনি কী করতে পারবেন এবং কী করতে পারবেন না তার নিয়ম রয়েছে। নিচে কয়েকটি তালিকাভুক্ত উদাহরণ দেওয়া হলো। মূলত স্কেল শর্তাবলী প্রদান করে, আপনি বিভিন্ন উপায়ে কিছু পুনঃব্যবহার করতে পারেন, সাধারণত এটি শর্তাবলীতে বর্ণিত থাকে। এটি ছোট মুদ্রণ নামেও পরিচিত।
'''পাবলিক ডোমেইন'''
পাবলিক ডোমেইন শব্দটি এমন সৃজনশীল উপকরণগুলোকে বোঝাতে ব্যবহৃত হয় যা সম্পত্তি আইন, কপিরাইট, ট্রেডমার্ক বা পেটেন্ট আইন দ্বারা সুরক্ষিত নয়। এই কাজগুলোর মালিক 'জনসাধারণ', কোনও একক ব্যক্তি নন। পাবলিক ডোমেইন উপকরণ ব্যবহারের জন্য অনুমতির প্রয়োজন নেই কারণ কেউ কখনও উপকরণের অধিকার দাবি করতে পারে না। <ref>[http://fairuse.stanford.edu/overview/public-domain/welcome/] , Copyright & Fair Use – Stanford University Libraries.</ref>
চারটি সাধারণ সম্ভাবনা রয়েছে যা উপকরণ বা পণ্যগুলোকে পাবলিক ডোমেইন করতে পারে: <ref>[http://fairuse.stanford.edu/overview/public-domain/welcome/] , Copyright & Fair Use – Stanford University Libraries (Extended).</ref>
* কপিরাইট মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে।
* কপিরাইট মালিক কপিরাইট নবায়ন নিয়মের পদ্ধতি সঠিকভাবে অনুসরণ করেননি।
* কপিরাইট মালিক ইচ্ছাকৃতভাবে একটি উপাদান বা পণ্য পাবলিক ডোমেইনে রাখেন।
* কপিরাইট আইন এই বিশেষ ধরণের উপাদানকে রক্ষা করতে পারে না।
কপিরাইট জনসাধারণের জন্য, যাতে তারা সফটওয়্যারটি ব্যবহার করতে পারে, কাজের অংশ... ইত্যাদি, যেমনটা তারা চায়। এর অর্থ হলো তারা এটি সম্পাদনা করতে এবং তাদের ইচ্ছামতো পুনরায় ব্যবহার করতে সক্ষম। এর একটি গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ হলো ওয়াল্ট ডিজনির মিকি মাউসের সৃষ্টি। মিকি মাউসের গ্রাফিক্স এবং ধারণাটি পাবলিক ডোমেইনে রয়েছে, অর্থাৎ বিবিসির মতো অন্যান্য সংস্থাগুলো যদি ইচ্ছা করে তবে এই ধারণাটি একটি স্কেচে ব্যবহার করতে পারে। এর মানে হলো, যদিও আমরা মিকি মাউসকে একটি কার্টুন শিশু ক্লাসিক হিসেবে যুক্ত করেছি, আমরা তাকে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের একটি স্কেচে দেখতে পাচ্ছি।
=== By ===
"By" আপনাকে একটি কাজকে আপনি যেভাবে চান তেমন করে রিমিক্স, সম্পাদনা এবং বিতরণ করার অনুমতি দেয়। তবে, আপনাকে বিবেচনা করতে হবে কাজটি কোথা থেকে এসেছে এবং মূল সৃষ্টিকারীর গুরুত্বকে স্বীকৃতি দিতে হবে।
'''অ্যাট্রিবিউশন'''
CC BY Attribution অন্যদের এমন কাজ বিতরণ, সম্পাদনা এবং যোগ করার সুযোগ দেয় যা ইতিমধ্যেই তৈরি করা হয়েছে, যতক্ষণ না তারা মূল লেখককে কৃতিত্ব দেয়। মূলত এটি সবচেয়ে সুবিধাজনক লাইসেন্স। এটি আপনাকে আপনার প্রয়োজন অনুসারে নিবন্ধটি তৈরি করতে সক্ষম করে।
'''অ্যাট্রিবিউশন-শেয়ারঅ্যালাইক'''
CC BY-SA এই লাইসেন্সটি আপনাকে অ্যাট্রিবিউশন লাইসেন্সিংয়ের মতোই কাজ করার সুযোগ দেয়, তবে এটি কেবলমাত্র বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে সম্পন্ন করা হয় এবং তারা তাদের নতুন সৃষ্টিগুলোকে একই শর্তে ক্রেডিট এবং লাইসেন্স দেয়। অ্যাট্রিবিউশন- শেয়ারঅ্যালাইককে প্রায়ই 'কপিলেফট' ফ্রি এবং ওপেন সফটওয়্যার লাইসেন্স বলা হয়। উইকিপিডিয়া এই ধরণের লাইসেন্স ব্যবহার করে।
'''অ্যাট্রিবিউশন-নোডেরিভস'''
CC BY-ND এই লাইসেন্সটি বাণিজ্যিক এবং অ-বাণিজ্যিক উভয় ক্ষেত্রেই পুনর্বণ্টনের সুযোগ দেয়, যতক্ষণ না এটি অপরিবর্তিত এবং সম্পূর্ণরূপে আপনার কৃতিত্বের সাথে পাস করা হয়।
'''অ্যাট্রিবিউশন-অ-বাণিজ্যিক'''
CC BY-NC অ্যাট্রিবিউশন-শেয়ারঅ্যালাইকের অনুরূপ, এই লাইসেন্সটি আপনাকে কাজ যোগ করতে, পরিবর্তন করতে এবং নির্মাণ করতে সক্ষম করে, তবে তা বাণিজ্যিক নয় এমন পরিবেশেও। নতুন সৃষ্টিকর্মকে আপনার পরিবর্তন এবং অ-বাণিজ্যিক উপাদান স্বীকার করতে হবে, তবে এটি একই লাইসেন্সের অধীনে হতে হবে না।
'''অ্যাট্রিবিউশন-ননকমার্শিয়াল-শেয়ারঅ্যালাইক'''
CC BY-NC-SA অ্যাট্রিবিউশন-ননকমার্শিয়ালের মতো মূল পার্থক্য হলো যে আপনাকে একই শর্তে নতুন কাজের লাইসেন্স দিতে হবে।
'''অ্যাট্রিবিউশন-ননকমার্শিয়াল-নোডেরিভস'''
CC BY-NC-ND এই লাইসেন্সটি সবচেয়ে সীমাবদ্ধ, শুধুমাত্র অন্যদের আপনার কাজ ডাউনলোড করতে এবং অন্যদের সাথে শেয়ার করতে দেয় যতক্ষণ না তারা মূল লেখককে কৃতিত্ব দেয়।
'''প্রভাব'''
ব্রাউসার্ড ক্রিয়েটিভ কমন্সকে কপিলেফট আন্দোলনের অগ্রভাগে বলে বর্ণনা করেছেন। এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে "সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত" কপিরাইটের একটি বিকল্প প্রদান করার চেষ্টা করছে (২০০৭)। বিকল্পভাবে, ডেভিড বেরি ক্রিয়েটিভ কমন্সকে বুদ্ধিজীবী সম্পত্তির বিষয়টিতে আগ্রহ তৈরি করার জন্য এবং "তথ্য যুগে" "কমন্স" এর ভূমিকা পুনর্বিবেচনা করার জন্য কৃতিত্ব দেন, তিনি বলেন "ক্রিয়েটিভ কমন্সে এমন প্রতিষ্ঠানিক, ব্যবহারিক এবং আইনগত সহায়তা রয়েছে যা افراد এবং গোষ্ঠীগুলোকে সংস্কৃতি নিয়ে আরও স্বাধীনভাবে পরীক্ষাগুলো এবং যোগাযোগ করতে চায়।" (বেরি, ডি, ২০০৫)। লেস্টিগ, অন্যদিকে আধুনিক সংস্কৃতিকে ঐতিহ্যবাহী কনটেন্ট বিতরণকারীদের দ্বারা আধিপত্যে ছিল বলে বর্ণনা করেছেন, সাংস্কৃতিক পণ্য যেমন সঙ্গীত এবং সিনেমার উপর মনোপলি বজায় রাখতে বা বৃহত্তর করতে, তিনি বলেছেন "ক্রিয়েটিভ কমন্স এই বিধিনিষেধগুলোর বিকল্প দিতে পারে" (লেস্টিগ, ২০০৬)।
== উন্মুক্ত উৎসের ও মালিকানাধীন সফটওয়্যারের উদাহরণ ==
=== ইউনিক্স এবং গ্নু ===
[http://www.unix.org/ ইউনিক্স] ১৯৬৯ সালে বেল ল্যাবসে তৈরি করা হয়েছিল এবং এটি কম্পিউটিং ইতিহাসের প্রাচীনতম অপারেটিং সিস্টেমগুলোর মধ্যে একটি। এটিই সেই ভিত্তি যার উপর Mac OS X নির্মিত। এটি অনেকগুলো ভিন্ন মেশিনে চালানো যেতে পারে, এবং ইউনিক্স কম্পিউটারগুলো নেটওয়ার্কগুলোতে একসাথে কাজ করতে পারে। ইউনিক্স ছিল একটি মালিকানাধীন সিস্টেম কারণ বেল ল্যাবস কপিরাইট সুরক্ষিত রেখেছিল যাতে এটি একটি বন্ধ সিস্টেম ছিল যা ভাগ করা যেত না। একটি সিস্টেমে কাজ করার জন্য ইউনিক্স কোডটি সোর্স কোড বই থেকে ম্যানুয়ালি প্রবেশ করতে হত। এটি আজ আমাদের কাছে অত্যন্ত অদক্ষ বলে মনে হয়।
উন্মুক্ত উৎসের নেটওয়ার্কের উন্নয়নে রিচার্ড স্টলম্যান ছিলেন মৌলিক ভূমিকা পালনকারী। তিনি ইউনিক্সকে আরও ভাগ করে নেওয়ার যোগ্য উন্মুক্ত সিস্টেমে রূপান্তর করতে চেয়েছিলেন। ১৯৮৪ সালে তিনি [http://www.fsf.org/ ফ্রি সফটওয়্যার ফাউন্ডেশন] (এফএসএফ) তৈরি করেন। এফএসএফ-এর মূল লক্ষ্য ছিল সফটওয়্যারকে আরও উন্মুক্ত এবং প্রাপ্যতাযোগ্য করে তোলা, ঠিক যেমন প্রাথমিক কম্পিউটিং বুদ্ধিমত্তা এবং বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার ভাগ করে নেওয়ার উপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। স্টলম্যান গ্নু ("গ্নু is not ইউনিক্স") আবিষ্কার করেন ইউনিক্সকে নতুনভাবে পুনর্নির্মাণ করে যাতে এটি উন্মুক্ত এবং ভাগ করে নেওয়া যায়, যাতে ব্যবহারকারীরা তাদের ইচ্ছামত কোডটি মানিয়ে নিতে এবং পরিবর্তন করতে পারে। গ্নু যে কোনও সিস্টেমে চলতে সক্ষম ছিল যা ইতিমধ্যেই ইউনিক্স সমর্থন করে। স্টলম্যান গ্নু-কে একটি নতুন সিস্টেমের অধীনে লাইসেন্স দিয়েছিলেন যার নাম জেনারেল পাবলিক লাইসেন্স (জিপিএল। এটি "কপিলেফট" নামেও পরিচিত) যাতে গ্নু-কে মালিকানাধীন সফটওয়্যারে পরিণত হতে না পারে।
=== লিনাক্সের সাফল্য ===
লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেম একটি উন্মুক্ত উৎসের প্রকল্পের একটি গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ যা ক্রমশ শক্তিশালী হচ্ছে। এই প্রকল্পের সহযোগিতার সম্ভাবনাগুলো নিজেই নেটওয়ার্কের শক্তির প্রতিনিধিত্ব করে। কারণ এর প্রাথমিক পর্যায়ে যখন খুব কম অবদানকারী অংশগ্রহণ করছিলেন তখনও তাদের সারা বিশ্বে পাওয়া যেত। এই ব্যবস্থার সাফল্যের পেছনে অনেকগুলো কারণ রয়েছে, যেমন সম্পত্তির অধিকারের প্রতি বিশেষ দৃষ্টিভঙ্গি যা এর লাইসেন্স গঠন করে। লিনাক্সের [[গ্নু জেনারেল পাবলিক লাইসেন্স|জেনারেল পাবলিক লাইসেন্স]] (জিপিএল) সিস্টেমের ক্রমাগত উন্নয়নকে এর উপর ভিত্তি করে তৈরি হিসেবে স্বীকৃতি দেয়, তবে এটি পুনর্বণ্টনের সময় এর উপর কোনও বিধিনিষেধ আরোপের সুযোগ দেয় না। এটি বার্কলে সফটওয়্যার ডিস্ট্রিবিউশন (বিএসডি) লাইসেন্সের একটি বিকল্প। এটি প্রোগ্রামারদের সিস্টেম উন্নত করার জন্য একই স্বাধীনতা প্রদান করে না।
লিনাক্সের সাফল্যের আরেকটি কারণ হলো প্রকল্পের জন্য অব্যাহত, ঐক্যবদ্ধ সমর্থন। এটি প্রকল্প নেতাদের দ্বারা গৃহীত সিদ্ধান্ত এবং নিয়ম প্রত্যাখ্যান করার ঝুঁকি সম্পর্কে বোঝার কারণে। যারা প্রস্তাবিত কোড পরিবর্তন গ্রহণ করতে ব্যর্থ হন, তাদের জন্য প্রাথমিক প্রকল্প থেকে আলাদা হয়ে তাদের পরিবর্তনগুলো বাস্তবায়িত করে একটি নতুন প্রকল্প স্থাপন করার সুযোগ রয়েছে, যাকে "ফর্কিং" বলা হয়। <ref>Weber, S. (2004). ''Success of Open Source.'' Cambridge: Harvard University Press, p.64</ref> যদিও কিছু ডেভেলপার এটিকে উন্মুক্ত উৎসের প্রোগ্রামিংয়ের একটি অপরিহার্য অধিকার হিসেবে দেখেন, তবুও এই প্রক্রিয়ায় ঝুঁকি রয়েছে। লিনাক্সের ক্ষেত্রে, প্রলিফিক ফর্কিং কর্মীদের বিভক্ত করার এবং সামগ্রিক উৎপাদনশীলতা হ্রাস করার ঝুঁকি বহন করে। অধিকন্তু, আরও প্রকল্পের সাথে সাথে একটি প্রকল্পে উল্লেখযোগ্য সমস্যা দেখা দেওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। এটি প্রতিটি প্রকল্পের উপর খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে, ফর্কিংয়ের মাধ্যমে উদ্ভূত প্রকল্প থেকে শুরু করে প্রাথমিক প্রকল্প পর্যন্ত। <ref>Weber, S. (2004). ''Success of Open Source.'' Cambridge: Harvard University Press, p.159</ref> দক্ষতা এবং উৎপাদনশীলতার এই ভাঙ্গনের ফলে বেশ কয়েকটি প্রকল্প, সম্ভবত সবগুলোই ব্যর্থ হতে পারে। লিনাক্সের দীর্ঘ জীবনকাল এবং অব্যাহত, দীর্ঘমেয়াদী সহযোগিতার সম্ভাবনা উপরে উল্লিখিত ঝুঁকিগুলোর জন্য ঝুঁকি নেওয়ার প্রবণতাকে নিরুৎসাহিত করে, তাই এটি এখনও পর্যন্ত এটির অভিজ্ঞতা লাভ করেনি। <ref>Weber, S. (2004). ''Success of Open Source.'' Cambridge: Harvard University Press, p.159</ref>
উন্মুক্ত উৎসের ফরম্যাটের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সুবিধা থেকে লিনাক্সও উপকৃত হয়। ঐতিহ্যবাহী মালিকানাধীন ব্যবস্থায়, প্রত্যেকের কাছ থেকে প্রায় সমান পরিমাণে কাজের অবদান আশা করা হয়। তবে ওপেন সোর্সে, অবদানকারীদের একটি ছোট শতাংশের জন্য কাজের একটি বড় অংশ সম্পাদন করা সাধারণ, এবং বিপুল সংখ্যক অপ্রাপ্তবয়স্ক অবদানকারীদের জন্য কেবল এক বা দুটি অবদান রাখা স্বাভাবিক। তবুও, জর্ডান যুক্তি দেন যে একটি উন্মুক্ত উৎসের প্রকল্পের প্রেক্ষাপটে, একজন ব্যক্তি এমন একটি কাজ সম্পন্ন করতে পারেন যা অন্যথায় সম্পন্ন নাও হতে পারে। যদি একজন ব্যক্তি মাত্র একটি অবদানের মাধ্যমেও গ্রুপ প্রকল্পের উন্নতি করেন, তাহলে সকলেই আরও ভালো পণ্য পেয়ে উপকৃত হবেন।
পরিসংখ্যান থেকে জানা যায় যে ইন্টারনেটের ৩৬.২% ওয়েবসাইট লিনাক্স ব্যবহার করে। এরিকের মতে, লিনাক্স একটি বিকেন্দ্রীভূত উন্নয়ন পদ্ধতি [http://www.fao.org/docs/up/easypol/342/decen_dev_in_agri_012en.pdf] গ্রহণ করেছে। "ক্যাথেড্রাল অ্যান্ড দ্য বাজার" এবং অনুরূপ কাজে এস রেমন্ডের পরীক্ষা। এই পদ্ধতির ফলে অবদানকারীরা একটি সংবেদনশীলহীন সাংগঠনিক কাঠামোর মধ্যে ক্রমাগত কাজ করতে সক্ষম হন। লিনাক্সের অপারেটিং সিস্টেমের বৈশিষ্ট্যগুলোও এর সাফল্য বিশ্লেষণ করার সময় বিবেচনা করার মতো আরেকটি সম্ভাব্য কারণ। লিনাক্স এবং ইউনিক্সের মতো অন্যান্য অপারেটিং সিস্টেমের মধ্যে প্রযুক্তিগত বৈপরীত্য রয়েছে যা লিনাক্সের সাফল্য নিয়ে আলোচনা করার সময় মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ। একটি নির্দিষ্ট উৎস অনুসারে, কার্নেলের গণিত কোপ্রসেসর ব্যবহার না করেই 387-FPU নির্দেশাবলী এবং সিস্টেম অনুকরণ করার ক্ষমতা রয়েছে এবং একাধিক প্রোগ্রাম চালানোর ক্ষমতা রয়েছে যার জন্য ফ্লোট-পয়েন্ট গণিত ক্ষমতার একটি স্তর প্রয়োজন। লিনাক্স ডেটা স্টোরেজের জন্য বিভিন্ন ফাইল সিস্টেম সমর্থন করে, এবং ext2 ফাইল সিস্টেমের মতো। এটি বিশেষভাবে লিনাক্সের জন্য তৈরি করা হয়েছিল।
=== অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস ===
==== অ্যান্ড্রয়েডের উন্নয়ন ====
[[চিত্র:Android_robot.png|থাম্ব| অ্যান্ড্রয়েড লোগো]]
২০০৭ সালের ৫ নভেম্বর তারিখে গুগলের মোবাইল ফোন অপারেটিং সিস্টেম [[Android(operating system)|অ্যান্ড্রয়েড]] সর্বজনীনভাবে আত্মপ্রকাশ করে। এর বিশ্বব্যাপী প্রবর্তন [[ওপেন হ্যান্ডসেট অ্যালায়েন্স|ওপেন হ্যান্ডসেট অ্যালায়েন্সের]] সৃষ্টি এবং প্রবর্তনের সাথেও সম্পর্কিত। কোম্পানিগুলোর একটি কনসোর্টিয়াম যারা তাদের পণ্যগুলোতে নতুন তৈরি অ্যান্ড্রয়েড সফটওয়্যার প্রয়োগ করে। কনসোর্টিয়ামটি জনসমক্ষে প্রকাশিত হওয়ার সময় এর ৩৪ সদস্যের তালিকায় টি-মোবাইল, [[স্যামসাং ইলেকট্রনিক্স]], [[এইচটিসি]] এবং [[সনি|সনির]] মতো কোম্পানিগুলো অন্তর্ভুক্ত ছিল। পরবর্তী বছরগুলোতে, [[তোশিবা]], এসার এবং [[ভোডাফোন|ভোডাফোনের]] মতো কোম্পানিগুলো যোগদানের সাথে সাথে সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। <ref>http://www.cnet.com/uk/news/googles-open-handset-alliance-gains-14-new-members/</ref> এই জোটটি ছিল গুগলের অ্যান্ড্রয়েডকে একটি উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যার হিসেবে বিকাশের সিদ্ধান্তের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপজাত।
রিচ মাইনার, [[অ্যান্ডি রুবিন]] এবং নিক সিয়ার্সকে সাধারণত অ্যান্ড্রয়েডের উদ্ভাবক হিসেবে কৃতিত্ব দেওয়া হয়। <ref>http://uk.businessinsider.com/how-android-was-created-2015-3?r=US&IR=T</ref> ২০০৫ সালে গুগল কর্তৃক কেনার আগে তারা একসাথে একটি ছোট কোম্পানি, Android.inc, হিসেবে অ্যান্ড্রয়েডে কাজ করেছিল। তাদের অধিগ্রহণের পর উপলব্ধ তহবিল বৃদ্ধি এবং প্রচুর নতুন সম্পদের আধিক্য উন্নয়ন প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে। দুই বছর পর প্রথম সর্বজনীনভাবে উপলব্ধ অ্যান্ড্রয়েড সফটওয়্যার তৈরি করা হয়। গুগল মূলত অ্যাপলের আইওএস-এর উন্নয়নের বিরোধিতা করে অপারেটিং সিস্টেমটি তৈরি করেছিল। ২০১০ সালে গুগলের আই/ও সম্মেলনের মূল বক্তৃতায়, গুগলের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট সোশ্যাল ভিক গুন্ডোত্রা দাবি করেছিলেন, "আমরা যদি পদক্ষেপ না নিই, তাহলে আমরা এক ভয়াবহ ভবিষ্যতের মুখোমুখি হব যেখানে একজন মানুষ, একজন ফোন, একজন ক্যারিয়ারই হবে ভবিষ্যৎ। এমন একটি ভবিষ্যৎ আমরা চাই না।" <ref>http://www.theatlantic.com/technology/archive/2013/12/the-day-google-had-to-start-over-on-android/282479/</ref>
অ্যান্ড্রয়েড প্রকাশের প্রায় এক বছর আগে, [[স্টিভ জবস]] ৯ জানুয়ারি, ২০০৭ তারিখে অ্যাপল আইফোন চালু করেছিলেন। গুগলের ভেতরে এই ঘোষণার প্রতিক্রিয়া ছিল অবাক করার মতো। গুগলের একজন কর্মচারী, ক্রিস ডিসালভো মন্তব্য করেছেন;<div align="center">
'''"একজন ভোক্তা হিসেবে আমি অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। আমি তাৎক্ষণিকভাবে একটি চাইছিলাম। কিন্তু একজন গুগল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে, আমি ভেবেছিলাম 'আমাদের নতুন করে শুরু করতে হবে। নব্বইয়ের দশকে আমরা যা হঠাৎ করে দেখেছিলাম তা এমন একটি জিনিস যা দেখলেই স্পষ্ট হয়ে ওঠে।"'''
</div>এই ঘোষণা অনুসারে অ্যান্ড্রয়েড ইঞ্জিনিয়ারদের দ্বারা তাড়াতাড়ি কিছু পরিবর্তন করা হয়। বিশেষ করে তাদের পণ্যে 'টাচস্ক্রিন' যুক্ত করা হয়। যদিও অ্যাপলের ঘোষণা অ্যান্ড্রয়ের আগে এসেছিল। এটি তাদের বাজারে সাময়িকভাবে লাভবান করতে সুবিধা দিয়েছিল। বিষয়টি অ্যান্ড্রয়েরডের একটি সুবিধাজনক অবস্থান হিসেবে দেখা হয়। কারণ এর ফলেঅ্যাপল কী মিস করেছে তা অ্যান্ড্রয়েরডের ইঞ্জিনিয়ারদেরকে দেখার সুযোগকরে দেয়।
অ্যান্ড্রয়েড উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যার লিনাক্সের উপর ভিত্তি করে তৈরি। ফলে এর সোর্স কোড সকলের জন্য প্রাপ্যতাযোগ্য করে তোলে, অ্যান্ড্রয়েডের লিনাক্স পিসিতে আমরা যে লিনাক্স ব্যবহার করি তার থেকে ভিন্নভাবে কাজ করে। পিসির মতো অ্যান্ড্রয়েড লিনাক্স কার্নেল সংস্করণের একটি পরিবর্তিত সংস্করণ ব্যবহার করে।তবে একই সংস্করণ নয়। অ্যান্ড্রয়েডের জন্য লিনাক্স স্মার্টফোনের কথা মাথায় রেখে ডিজাইন করা হয়েছে ।তাই মূল কার্নেলে অন্যান্য সমন্বয়ের সাথে টাচ-স্ক্রিন প্রোগ্রামিং যোগ করা হয়েছে। নিচে কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপাদানের তালিকা দেওয়া হলো।
* অ্যালার্ম ড্রাইভার: ডিভাইসগুলোকে ঘুম থেকে জাগানোর জন্য টাইমার সরবরাহ করে
* Ashmem: অ্যাপ্লিকেশনগুলোকে মেমরি ভাগ করে নেওয়ার সুযোগ দেয় এবং কার্নেল স্তরে ভাগ করে নেওয়ার ব্যবস্থা করে।
* বাইন্ডার ড্রাইভার: আন্তঃ-প্রক্রিয়া যোগাযোগ সহজতর করে কারণ শেয়ার্ড মেমোরি ব্যবহারের মাধ্যমে একাধিক অ্যাপ্লিকেশন দ্বারা ডেটা ভাগ করা যায়। IPC হিসেবে নিবন্ধিত একটি পরিষেবা
পরিষেবা প্রদানকারীদের বিভিন্ন থ্রেড নিয়ে চিন্তা করতে হবে না কারণ বাইন্ডার সেগুলো পরিচালনা, পর্যবেক্ষণ এবং পরিচালনা করবে। বাইন্ডার প্রক্রিয়াগুলোর মধ্যে সিঙ্ক্রোনাইজেশনেরও যত্ন নেয়।
* পাওয়ার ম্যানেজমেন্ট: স্ট্যান্ডার্ড লিনাক্স পাওয়ার ম্যানেজমেন্ট (PM) এর উপরে তৈরি এবং
বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনা এবং সাশ্রয়ের জন্য আরও আক্রমণাত্মক নীতি গ্রহণ করুন। <ref>http://www.handycodeworks.com/wp-content/uploads/2011/02/linux_versus_android.pdf</ref>
গুগল কেন অ্যান্ড্রয়েডকে একটি উন্মুক্ত উৎসের অপারেটিং সিস্টেম বানিয়েছে তা বিতর্কের বিষয়। বিরোধীরা যুক্তি দেন যে সিদ্ধান্তটি মূলত আর্থিক ভিত্তিক ছিল। উন্মুক্ত উৎসের প্রযুক্তির লাভ-ভিত্তিক একাধিক সুবিধা রয়েছে। এটি মূলত সিস্টেমের ব্যাপক জনপ্রিয়তার কারণে। এটি গুগলের নাগাল আরও বাড়িয়ে তোলে এবং তাদের ভোক্তা জনসংখ্যার পরিধি প্রসারিত করে। তবে তাদের ওয়েবসাইটে, অ্যান্ড্রয়েড ব্যাখ্যা করেছে কেন তারা একটি উন্মুক্ত উৎসের সিস্টেম ব্যবহার করে;
'''"অ্যান্ড্রয়েডের প্রাথমিক উদ্দেশ্য হলো ক্যারিয়ার, ওইএম এবং ডেভেলপারদের জন্য একটি উন্মুক্ত সফটওয়্যার প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা যাতে তারা তাদের উদ্ভাবনী ধারণাগুলোকে বাস্তবে রূপ দিতে পারে এবং একটি সফল, বাস্তব-বিশ্বের পণ্য প্রবর্তন করতে পারে যা ব্যবহারকারীদের জন্য মোবাইল অভিজ্ঞতা উন্নত করে। আমরা আরও নিশ্চিত করতে চেয়েছিলাম যে ব্যর্থতার কোনও কেন্দ্রীয় বিন্দু নেই, যেখানে একজন শিল্প খেলোয়াড় অন্য কারও উদ্ভাবনকে সীমাবদ্ধ বা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।"''' <ref>https://source.android.com/source/</ref>
==== আইওএসের উন্নয়ন ====
[[চিত্র:Steve_Jobs_presents_iPhone.jpg|থাম্ব| স্টিভ জবস আইফোন উপস্থাপন করছেন]]
অ্যাপলের মোবাইল ফোন অপারেটিং সিস্টেম, [[আইওএস]]। এটি পূর্বে ওএস নামে পরিচিত ছিল, ৯ জানুয়ারি, ২০০৭ সালে আইফোন প্রবর্তনের মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ করে। প্রথম আইফোনগুলো সেই গ্রীষ্মের পরে বিক্রি শুরু হবে। আইওএসের নকশা অ্যাপল ম্যাকিনটোশের অপারেটিং সিস্টেম ওএস এক্স-এর উপর ভিত্তি করে তৈরি। স্টিভ জবস কর্তৃক আইপড প্রোগ্রামিং এবং ম্যাকিনটোশ প্রোগ্রামিংয়ের মধ্যে একটি প্রতিযোগিতার পর এই সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে ম্যাকিনটোশ ভিত্তিক একটি সিস্টেমই সবচেয়ে উপযুক্ত। ম্যাকিনটোশ দলের নেতৃত্বে ছিলেনস্কট ফরস্টল। তাকে অ্যাপ স্টোর তৈরি এবং বিকাশের জন্য কৃতিত্ব দেওয়া হয়। <ref>http://www.bloomberg.com/news/articles/2011-10-12/scott-forstall-the-sorcerers-apprentice-at-apple</ref>
আইওএস একটি মালিকানাধীন অপারেটিং সিস্টেম এবং তাই এর সোর্স কোড প্রাপ্যতাযোগ্য বা পরিবর্তনযোগ্য নয়। অ্যাপলই একমাত্র কোম্পানি যার পণ্যে আইওএস ব্যবহারের সুযোগ এবং বৈধতা রয়েছে। অপারেটিং সিস্টেম পরিবর্তনের ক্ষেত্রে ব্যবহারকারীদের সীমিত প্রাপ্যতাের কারণে, জেলব্রেকিংয়ের প্রক্রিয়াটি জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে অ্যান্ড্রয়েডের মতো অপারেটিং সিস্টেমে বিরোধী সফটওয়্যারের উপাদান রয়েছে, এই ক্ষেত্রে ওপেন সোর্স। এমন দাবি করা হয়েছে যে স্টিভ জবস আসলে ওপেন সোর্সের একজন পথিকৃৎ ছিলেন। আইওএস-ভিত্তিক ম্যাক অপারেটিং সিস্টেমটি নিজেই ডারউইনের উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যারের উপর ভিত্তি করে তৈরি। ডারউইন ২০০৩ সালে অ্যাপল দ্বারা একটি বিনামূল্যের এবং উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যার লাইসেন্সের অধীনে প্রকাশিত হয়েছিল। অধিকন্তু, স্টিভ জবস দাবি করেছেন যে অ্যান্ড্রয়েড "আসলে তেমন খোলা নয়" তিনি উল্লেখ করেছেন যে কিছু মোবাইল ডিভাইস কোম্পানি যেমন এইচটিসি তাদের ইন্টারফেসে মালিকানাধীন সফটওয়্যার ব্যবহার করেছে। তিনি এতে অসন্তোষ প্রকাশ করেন কারণ এর ফলে ব্যবহারকারীদের নিজেরাই এটি সমাধান করতে হয়। এটিকে অ্যাপল মালিকানাধীন সফটওয়্যার বাস্তবায়নের অন্যতম কারণ হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে; ডিভাইসের ব্যবহারকারী-বান্ধবতা উন্নত করার জন্য।
অ্যান্ড্রয়েডের মতোই, যুক্তি দেওয়া হয় যে এই সিদ্ধান্তটি মূলত আর্থিক ভিত্তিক ছিল। সফটওয়্যারটির কপিরাইট করার মাধ্যমে তারা অন্যান্য কোম্পানিগুলোকে এটি ব্যবহার থেকে বিরত রাখে, তাই যারা ইন্টারফেসটি উপভোগ করেছেন তাদের অ্যাপল পণ্য কিনতে হবে। অ্যাপল স্বীকার করেছে যে অনলাইন সম্প্রদায়ের মধ্যে, বিশেষ করে হ্যাকার সম্প্রদায়ের মধ্যে, প্রোপ্রাইটারিকে অবজ্ঞা করা হয়, তাই তারা টাচস্ক্রিন এবং হোম বোতামের মতো নির্দিষ্ট উদ্ভাবনী বৈশিষ্ট্যগুলোর উপর IOS প্রকাশের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করেছে। মালিকানাধীন সমালোচকরা যুক্তি দেন যে উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যার অ্যাপলের জন্য অনিবার্য। <ref>http://www.wired.com/2015/06/open-sourcing-no-longer-optional-not-even-apple/</ref> তাদের যুক্তি হলো, অ্যাপল যদি প্রতিটি নতুন সংস্করণের সাথে মালিকানার মাত্রা বৃদ্ধি করতে থাকে, তাহলে তারা তাদের জনপ্রিয় অ্যাপ্লিকেশনগুলোর বেশিরভাগের জন্য নির্ভরশীল ডেভেলপারদের বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার ঝুঁকিতে পড়বে। মাইক্রোসফটের লিনাক্সের সাম্প্রতিক গ্রহণযোগ্যতা অ্যাপলের উপর আরও চাপ সৃষ্টি করেছে কারণ মাইক্রোসফটের মালিকানাধীন সফটওয়্যারের সাথে দীর্ঘদিনের মৌলিক সম্পর্ক রয়েছে।
==== বিতর্কের ভূমিকা ====
বিপরীত অপারেটিং সিস্টেমগুলোকে ঘিরে বিতর্কের ব্যবহারিক এবং আদর্শিক উভয় দিক থেকেই গুরুত্ব রয়েছে। ব্যবহারিকতার বিষয়গুলো অনলাইন ফোরামগুলোতে প্রাধান্য পায় এবং প্রায়ই উভয়ের মধ্যে তুলনা করা হয়। ব্যবহারকারী-বান্ধবতা, গোপনীয়তা, নিরাপত্তা, কাস্টমাইজেবিলিটি এবং অ্যাপ্লিকেশনগুলো সরাসরি অপারেটিং সিস্টেমের প্রকৃতি দ্বারা প্রভাবিত হয়, তা মালিকানাধীন হোক বা ওপেন সোর্স। সাধারণ জনগণের কাছে এগুলো বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে হয়। কিন্তু কিছু মানুষের কাছে, বিশেষ করে হ্যাকার সম্প্রদায় এবং ইন্টারনেট কর্মীদের মধ্যে যারা আছেন তাদের কাছে, বিপরীত অপারেটিং সিস্টেমগুলো বিপরীত মতাদর্শের প্রতিনিধিত্ব করে। অ্যান্ড্রয়েডকে 'জনস্বার্থ' হিসেবে দেখা হয়, যেখানে আইওএস 'মানুষের স্বার্থের' প্রতিনিধিত্ব করে। মাইক্রোসফটের গবেষণা সমাজবিজ্ঞানী মার্ক এ. স্মিথ ব্যাখ্যা করেছেন কিভাবে এই দুটির মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখার প্রয়োজন। তিনি "মুক্ত রাইডার" ধারণাটি বর্ণনা করেছেন যারা জনসাধারণের কল্যাণে অবদান না রেখেই তা ব্যবহার করে। এই ধারণাটি বেশিরভাগ অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীদের জন্য প্রযোজ্য হবে যারা সোর্স কোড প্রাপ্যতা বা পরিবর্তন করেন না।
বিরোধী মতাদর্শের পাশাপাশি এটি বিরোধী [[বিবর্তন|বিবর্তনীয় ব্যাখ্যার]] প্রতিনিধিত্ব করে। এমন ধারণা রয়েছে যে প্রতিযোগিতাই ছিল বিবর্তনের একমাত্র চালিকা শক্তি। এটি আইওএস এবং মালিকানাধীন সফটওয়্যারকে সমাজের জন্য সাধারণত উপকারী হিসাবে ব্যাখ্যা করবে। এর বিরোধিতা করা হয় এই দাবির মাধ্যমে যে সহযোগিতা বিবর্তনের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক এবং বর্ধিত প্রাণীজগতেও এটি প্রতিনিধিত্ব করে। <ref>Rheingold, H. (2003). Smart mobs. Cambridge, MA: Perseus Pub. pg39</ref> লিনাক্সকে বর্ণনা করা হয়েছে, "ডেভেলপারদের দ্বারা প্রবর্তিত মিউটেশনের উপর এক ধরণের দ্রুত ডারউইনীয় নির্বাচন তৈরি করা।" "
অনেক দিক থেকেই অপারেটিং সিস্টেমের স্পষ্ট উল্লেখ ছাড়াই জনপ্রিয় বিতর্কটি ঘটেছে। দুটি সর্বাধিক জনপ্রিয় অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে তারা তাদের নিজস্ব ফ্যান ওয়েবসাইট এবং মিটআপের মাধ্যমে উৎসাহী ভক্তদের আকর্ষণ করেছে। সিস্টেমগুলো গুগল এবং অ্যাপলের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্বদের, যেমন স্টিভ জবসের সাথে সেলিব্রিটির লড়াইয়ে প্রবেশ করেছে, অপারেটিং সিস্টেমের চেয়ে বেশি বিখ্যাত হয়ে উঠেছে। নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক এরিক রোবেলস-অ্যান্ডারসন এবং অন্যান্যরা অ্যাপলকে একটি ' ধর্ম-সংস্কৃতি ' হিসেবে বর্ণনা করেছেন। <ref>http://www.techinsider.io/nyu-professor-says-apple-is-a-cult-2015-9</ref> এটিই ছিল 'ম্যাকহেডস' তথ্যচিত্রের ভিত্তি। অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস-এর এখন বিশাল সংখ্যক প্রতিষ্ঠিত ভক্ত রয়েছে যারা তাদের নিজ নিজ অপারেটিং সিস্টেমের প্রতি অনুগত এবং একে অপরের পণ্য কিনবে না <ref>http://www.telegraph.co.uk/technology/apple/10632787/iPhone-owners-admit-having-blind-loyalty-to-Apple.html</ref>
==== অ্যান্ড্রয়েডের সুবিধা এবং সমালোচনা ====
'''প্রাপ্যতা এবং সামঞ্জস্য'''
ব্যবহারকারীদের কাছে এর বিশাল প্রাপ্যতার জন্য অ্যান্ড্রয়েড ধারাবাহিকভাবে প্রশংসিত হয়। এটি এর উন্মুক্ত উৎসের বৈশিষ্ট্যের প্রত্যক্ষ ফলাফল। অনেক কোম্পানি তাদের পণ্যে অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহার করে। এর ফলে গ্রাহকরা আইওএস পরিচালিত পণ্যের তুলনায় ফোন এবং ট্যাবলেটের একটি উল্লেখযোগ্য বিস্তৃত নির্বাচন থেকে পছন্দ করতে পারেন। বিপুল সংখ্যক অ্যান্ড্রয়েড প্রস্তুত ডিভাইসের কারণে পরবর্তীতে অ্যান্ড্রয়েড ৮০% এরও বেশি শেয়ার নিয়ে বাজারে আধিপত্য বিস্তার করতে সক্ষম হয়েছে। <ref>http://www.idc.com/prodserv/smartphone-os-market-share.jsp</ref> এটি সাধারণত (অ্যাপাচি সফটওয়্যার লাইসেন্স ২.০ (এপিএল২.০), একটি বিনামূল্যের সফটওয়্যার লাইসেন্সের অধীনে পরিচালিত লাইসেন্সের কারণে, নির্মাতারা তাদের নিজস্ব স্পেসিফিকেশন অনুসারে সোর্স কোড পরিবর্তন করতে পারে। <ref>http://www.idc.com/prodserv/smartphone-os-market-share.jsp</ref> এইভাবে অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীরা নির্মাতার উপর নির্ভর করে ভিন্ন অভিজ্ঞতা পেতে পারেন। এটি বৈচিত্র্য এবং পছন্দ বৃদ্ধির কারণে উপকারী বলে মনে করা হয়, তবে বিভিন্ন অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং ডিভাইসের মধ্যে মানের বৈষম্যের জন্য এটি সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছে।
'''কাস্টমাইজেবিলিটি'''
অ্যান্ড্রয়েডে, কাস্টমাইজেশনকে প্রকাশ্যে উৎসাহিত করা হয় এবং তাই এটি অনেক হ্যাকারের কার্যত পছন্দ। কাস্টমাইজেশনের এই সুযোগটি ব্যাপক, যেখানে ব্যবহারকারীরা আরও জটিল কাজ করতে পারবেন, যেমন সোর্স কোডে অবদান রাখা এবং প্রচলিত কাস্টমাইজেশনের ত্রুটিগুলো সনাক্ত করা, যেমন টোয়াইলাইট এবং এয়ারড্রয়েডের মতো অ্যাপ ইনস্টল করা এবং অ্যাপ আইকন পরিবর্তন করা। সোর্স কোডটি উপলব্ধ এবং ব্যবহারকারীদের ইচ্ছানুযায়ী ব্যবহার করার জন্য প্রস্তুত। কাস্টমাইজেশনের সাথে এর ইতিবাচক প্রভাবের দুটি ধারণা রয়েছে; অভ্যন্তরীণ এবং বাহ্যিক। অভ্যন্তরীণ বলতে ব্যবহারকারীর নিজস্ব কাস্টমাইজেশন সম্পাদনের মাধ্যমে অর্জিত সন্তুষ্টি বোঝায়, অন্যদিকে বহির্মুখী বলতে কাস্টমাইজেশনের ফলে হওয়া উন্নতির মাধ্যমে ব্যবহারকারীর সন্তুষ্টি বোঝায় ঠিক যেমন আপনি অ্যাপ ডিজাইন করতে এবং [[গুগল প্লে|গুগল প্লে স্টোরে]] অফার করতে সক্ষম হন, আপনি স্টোরের সোর্স কোডও পরিবর্তন করতে পারেন। এই উন্মুক্ততার ফলে অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ ডাউনলোডের সংখ্যা আইওএস-এর চেয়ে বেশি হয়ে গেছে, যদিও এটি অ্যান্ড্রয়েড এবং অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ ডেভেলপারদের উপর একটি বড় নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে: রাজস্ব হ্রাস। গুগল প্লে অ্যাপলের [[App store (IOS)|অ্যাপ স্টোরের তুলনায় ৭০% কম আয় করে।]]
'''ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা'''
অ্যান্ড্রয়েডের সাথে সঠিক ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা নির্মাতাদের মূল সোর্স কোডের পরিবর্তনের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হয়, যদিও প্রযুক্তি সম্প্রদায়ে সাধারণীকরণ করা যেতে পারে এবং করা হয়েছে। অ্যান্ড্রয়েডের খ্যাতি আইওএসের মতো 'পরিষ্কার' না হওয়া এবং 'খাটো' হওয়ার জন্য উন্মুক্ত উৎসের উৎসের কারণে, এর নকশাটি তার প্রতিযোগীর মতো পরিশীলিত বলে বিবেচিত হয় না এবং 'কার্টুনিশ' হওয়ার জন্য আরও সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছে। অন্যান্য অপারেটিং সিস্টেমের সাথে অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতার তুলনা করে করা একটি জরিপে দেখা গেছে যে এটি IOS এর তুলনায় কম স্কোর করেছে (৫৭.২৫ থেকে ৭৩.২৫) ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো প্রাথমিকভাবে ব্যবহারের সহজতা, বিশেষ করে একজন অ-প্রযুক্তিগত ব্যবহারকারীর জন্য। আরেকটি জরিপে দেখা গেছে যে অ্যান্ড্রয়েডের জ্ঞানীয় লোড সবচেয়ে বেশি, সংশ্লিষ্ট IOS এর তুলনায় চার গুণ বেশি। ধারণা করা হচ্ছে,অ্যান্ড্রয়েড স্বাভাবিকভাবে ব্যবহার করতে আইওএসের তুলনায় বেশি সময় নেয়।
'''গোপনীয়তা'''
অ্যান্ড্রয়েড বিজ্ঞাপন লাইব্রেরিগুলোর উপর গবেষণায় দেখা গেছে যে বিজ্ঞাপনগুলো ব্যবহারকারীর অবস্থান, পরিচিতি, ফোন নম্বর সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহ করতে পারে এবং এমনকি ক্যামেরা এবং মাইক্রোফোনেও প্রাপ্যতা পেতে পারে এটি বিজ্ঞাপনগুলোকে সংগৃহীত তথ্যের উপর ভিত্তি করে তাদের ব্যবহারকারীকে আরও ভালভাবে লক্ষ্য করতে দেয়। যখন কোনও বিজ্ঞাপন আপনার নাম, ঠিকানা এবং সহযোগীদেরও শনাক্ত করতে সক্ষম হয়, তখন এটি আরও গুরুতর গোপনীয়তার সমস্যা হয়ে উঠতে পারে। এটি অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস প্ল্যাটফর্মের জন্য একটি সমস্যা। দেখা গেছে যে গ্রাহকরা প্রায়ই ডিফল্ট গোপনীয়তা বিকল্পগুলোতে সম্মতি জানান। এর ফলে গোপনীয়তা কর্মীরা 'অপ্ট ইন' বৈশিষ্ট্যের জন্য প্রচারণা চালাচ্ছেন, যেমনটি ইইউতে দেখা যায়। এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা একটি বিজ্ঞাপনের প্রাপ্যতা সম্পর্কে আরও স্বচ্ছ ধারণা দিচ্ছেন। যদিও অ্যাপের গোপনীয়তার স্পেসিফিকেশনের জন্য অ্যান্ড্রয়েড সমালোচিত হয়েছে, তবুও অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস উভয়কেই এই আইনগুলো মেনে চলতে হবে। এটি ব্যবহারকারীকে অ্যাপের গোপনীয়তা চুক্তি গ্রহণ বা প্রত্যাখ্যান করার সুযোগ দেয় কিন্তু পরবর্তী সময়ে এতে কোনও পরিবর্তন আনে না। বিপরীতে, IOS ব্যবহারকারীকে গোপনীয়তা চুক্তি গ্রহণের পরে একটি অ্যাপের নির্দিষ্ট প্রাপ্যতা নিষ্ক্রিয় করার সুযোগ দেয়, যেমন ক্যামেরা প্রাপ্যতা নিষ্ক্রিয় করা।
'''ওয়েব ব্রাউজার'''
অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীকে তাদের পছন্দের ডিফল্ট ওয়েব ব্রাউজার নির্ধারণ করতে দেয়। এটি গুগল প্লে স্টোর থেকে একটি তৃতীয় পক্ষের অ্যাপ অধিগ্রহণের মাধ্যমে করা হয় তবে অ্যান্ড্রয়েডের অ্যাপল-বিকশিত ব্রাউজার [[সাফারি (ওয়েব ব্রাউজার)|সাফারিতে]] প্রাপ্যতা নেই; আইওএসের তুলনায় ব্যবহারকারীদের তাদের পছন্দের ব্রাউজারটি সম্পূর্ণরূপে পরিবর্তন করার সুযোগ দেওয়ার জন্য অ্যান্ড্রয়েড প্রশংসিত হয়েছে, যেখানে সাফারি অন্তর্নির্মিত এবং আনইনস্টল করা যায় না।
'''প্রাপ্যতা এবং সামঞ্জস্য'''
IOS উপলব্ধ এবং শুধুমাত্র Apple পণ্যের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এই বৈশিষ্ট্যটি সমালোচিত হয়েছে কারণ এর অর্থ হলো অ্যাপ স্টোর এবং গুগল প্লে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়, তাই ব্যবহারকারীরা অ্যাপগুলোতে একই স্তরের প্রাপ্যতা পান না। যদিও অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম ওপেন সোর্স, গুগল প্লে নয়। শুধুমাত্র অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীরা এটি ব্যবহার করতে পারবেন। আইওএসের বাজার শেয়ার ১৩.৯। % <ref>http://www.idc.com/prodserv/smartphone-os-market-share.jsp</ref> মানে IOS ব্যবহারকারীরা সংখ্যালঘু।
'''কাস্টমাইজেবিলিটি'''
IOS সোর্স কোড কোনওভাবেই ব্যবহারকারীর জন্য কাস্টমাইজযোগ্য নয়। এটি অনেককে ক্ষুব্ধ করেছে এবং জেলব্রেকিংয়ের এখন সাধারণ এবং আইনত অস্পষ্ট প্রথার দিকে পরিচালিত করেছে। এই অনুশীলনের মধ্যে রয়েছে [[ডিজিটাল অধিকার ব্যবস্থাপনা|ডিজিটাল রাইটস ম্যানেজমেন্ট (DRM)]] বিধিনিষেধ উপেক্ষা করা এবং সফটওয়্যার পরিবর্তন করা। এটি মূলত "একটি পরিবর্তিত কার্নেল প্যাচ সেট (কার্নেল অপারেটিং সিস্টেমের তত্ত্বাবধায়ক) ইনস্টল করার প্রক্রিয়া যা আপনাকে স্বাক্ষরবিহীন কোড চালানোর সুযোগ দেয়" হিসাবে ভাবা যেতে পারে। অ্যাপল উন্নত আপডেটের মাধ্যমে জেলব্রেকিং সীমিত করার চেষ্টা করেছে। অ্যাপলের সাপোর্ট পেজে জেলব্রেকিংয়ের অসুবিধাগুলো ব্যাখ্যা করা হয়েছে;
* নিরাপত্তা দুর্বলতা: আপনার ডিভাইস জেলব্রেক করলে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য এবং আপনার iOS ডিভাইস সুরক্ষিত রাখার জন্য তৈরি নিরাপত্তা স্তরগুলো দূর হয়ে যায়। আপনার iOS ডিভাইস থেকে এই নিরাপত্তা ব্যবস্থা সরিয়ে ফেলা হলে, হ্যাকাররা আপনার ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করতে পারে, আপনার ডিভাইসের ক্ষতি করতে পারে, আপনার নেটওয়ার্ক আক্রমণ করতে পারে, অথবা ম্যালওয়্যার, স্পাইওয়্যার বা ভাইরাস প্রবেশ করাতে পারে।
* অস্থিরতা: ডিভাইসের ঘন ঘন এবং অপ্রত্যাশিত ক্র্যাশ, বিল্ট-ইন অ্যাপ এবং থার্ড-পার্টি অ্যাপের ক্র্যাশ এবং ফ্রিজ, এবং ডেটা হারানো।
* ব্যাটারির আয়ু কমে গেছে: হ্যাক করা সফটওয়্যারটির কারণে ব্যাটারি দ্রুত শেষ হয়ে গেছে। এটি একবার ব্যাটারি চার্জ করলেই আইফোন, আইপ্যাড বা আইপড টাচের কাজকর্ম কমিয়ে দেয়।
* অবিশ্বস্ত ভয়েস এবং ডেটা: কল বন্ধ, ধীর বা অবিশ্বস্ত ডেটা সংযোগ, এবং বিলম্বিত বা ভুল অবস্থান ডেটা।
* পরিষেবার ব্যাঘাত: ভিজ্যুয়াল ভয়েসমেইল, আবহাওয়া এবং স্টকের মতো পরিষেবাগুলো ডিভাইসে ব্যাহত হয়েছে অথবা আর কাজ করছে না। এছাড়াও, অ্যাপল পুশ নোটিফিকেশন সার্ভিস ব্যবহারকারী তৃতীয় পক্ষের অ্যাপগুলোর বিজ্ঞপ্তি পেতে অসুবিধা হয়েছে অথবা এমন বিজ্ঞপ্তি পেয়েছে যা অন্য কোনও হ্যাক করা ডিভাইসের জন্য তৈরি। [[আইক্লাউড|iCloud]] এবং Exchange-এর মতো অন্যান্য পুশ-ভিত্তিক পরিষেবাগুলো তাদের নিজ নিজ সার্ভারের সাথে ডেটা সিঙ্ক্রোনাইজ করতে সমস্যায় পড়েছে।
* ভবিষ্যতে সফটওয়্যার আপডেট প্রয়োগ করতে অক্ষমতা: কিছু অননুমোদিত পরিবর্তন iOS-এর এমন ক্ষতি করেছে যা মেরামতযোগ্য নয়। এর ফলে ভবিষ্যতে অ্যাপল-সরবরাহকৃত iOS আপডেট ইনস্টল করার সময় হ্যাক হওয়া আইফোন, আইপ্যাড, বা আইপড টাচ স্থায়ীভাবে অকার্যকর হয়ে যেতে পারে।
'''ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা'''
আইওএস-এর ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতার জন্য অ্যাপল মূলত প্রশংসিত হয়েছে। এটি 'নান্দনিক অখণ্ডতা' এবং 'ধারাবাহিকতা' নীতির উপর নির্ভর করে অ্যাপল উল্লেখ করেছে যে নান্দনিকতার সাথে এটি সৌন্দর্য সম্পর্কে খুব বেশি কিছু নয় বরং, "একটি অ্যাপের চেহারা এবং আচরণ কতটা ভালোভাবে তার কার্যকারিতার সাথে একটি সুসংগত বার্তা পাঠায় তা বোঝায়।" "আইওএস-এর অ্যাপ স্টোরে অ্যান্ড্রয়েডের গুগল প্লে-এর তুলনায় কঠোর নির্দেশিকা রয়েছে।" এটি ইতিবাচক নাকি নেতিবাচক বৈশিষ্ট্য তা নিয়ে মতবিরোধ রয়েছে। IOS-এর 'ধারাবাহিকতা' নীতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ, সমস্ত অ্যাপই মানুষের দ্বারা পর্যালোচনা করা হয়, সম্প্রতি অ্যান্ড্রয়েডও এই বৈশিষ্ট্যটি গ্রহণ করেছে। এটিকে আইওএসের কঠোর নির্দেশিকাগুলো ইতিবাচক বলে গ্রহণযোগ্যতা হিসেবে দেখা হচ্ছে।
'''ওয়েব ব্রাউজার'''
গুগল ক্রোম এবং ফায়ারফক্সের মতো একাধিক উন্মুক্ত উৎসের ওয়েব ব্রাউজার আইওএস সহ অ্যাপ স্টোর থেকে ডাউনলোডের জন্য উপলব্ধ। তবে Safari হলো বিল্ট-ইন ইন্টারনেট ব্রাউজার, এবং তাই, খোলা যেকোনো লিঙ্ক Safari তে পুনঃনির্দেশিত হবে ব্যবহারকারীদের দ্বারা Safari প্রশংসিত এবং সমালোচিত উভয়ই হয়েছে। অ্যাপল তার ব্রাউজারগুলো (সাফারি, ক্রোম, ফায়ারফক্স ইত্যাদি) ওয়েবকিট তে চালায় তাই গতি ধারাবাহিকভাবে বেশি থাকে। 'ট্র্যাক করবেন না' বৈশিষ্ট্যটি সমর্থন করার জন্য সাফারিও প্রশংসিত হয়েছে। স্মার্টফোনের গোপনীয়তা নিয়ে উদ্বিগ্ন ব্যক্তিদের জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি বিজ্ঞাপনদাতাদের অনলাইনে আপনার ট্র্যাক করা বন্ধ করে দেয়। তবে আইওএসের মালিকানাধীন প্রকৃতির কারণে, তারা অন্যান্য ওয়েব ব্রাউজারগুলোতে এই ফাংশনের প্রাপ্যতা সীমিত করেছে, তাদের সাফারি ব্যবহারে রাজি করার একটি ধারণাগত প্রচেষ্টা হিসেবে। তৃতীয় পক্ষের ব্রাউজারগুলোতে IOS-এর আরও অনেক বিধিনিষেধ রয়েছে। যেহেতু Safari iOS-এ অন্তর্নির্মিত, তাই সিস্টেম ক্র্যাশ বিশ্বব্যাপী একাধিক ডিভাইসের বেশিরভাগ IOS ব্যবহারকারীকে প্রভাবিত করবে। ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে এই ঘটনাটি ঘটেছিল যখন কোনও ব্যবহারকারী অ্যাড্রেস বারে কিছু অনুসন্ধান করলে একটি বাগ সাফারি ক্র্যাশ করে
==== অ্যান্ড্রয়েড প্ল্যাটফর্ম নিরাপত্তা ====
'''অ্যান্ড্রয়েড নিরাপত্তা প্রতিশ্রুতি'''
অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল প্ল্যাটফর্মের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ এবং ব্যবহারযোগ্য অপারেটিং সিস্টেম হতে চায়, ঐতিহ্যবাহী অপারেটিং সিস্টেমের নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রণগুলোকে পুনঃউদ্দেশ্য দিয়ে:
* ব্যবহারকারীর ডেটা সুরক্ষিত করুন
* সিস্টেম রিসোর্স (নেটওয়ার্ক সহ) সুরক্ষিত করুন
* অ্যাপ্লিকেশন আইসোলেশন প্রদান করুন
এই লক্ষ্যগুলো অর্জনের জন্য, অ্যান্ড্রয়েড এই গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্যগুলো প্রদান করে:
* লিনাক্স কার্নেলের মাধ্যমে অপারেটিং সিস্টেম স্তরে শক্তিশালী নিরাপত্তা
* সকল অ্যাপ্লিকেশনের জন্য বাধ্যতামূলক অ্যাপ্লিকেশন স্যান্ডবক্স
* নিরাপদ আন্তঃপ্রক্রিয়া যোগাযোগ
* আবেদনপত্র স্বাক্ষর
* অ্যাপ্লিকেশন-সংজ্ঞায়িত এবং ব্যবহারকারী-প্রদত্ত অনুমতি
'''অ্যান্ড্রয়েড নিরাপত্তা সমালোচনা'''
অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ্লিকেশনগুলো একটি স্যান্ডবক্সে চলে। এটি সিস্টেমের একটি বিচ্ছিন্ন এলাকা যেখানে সিস্টেমের বাকি সংস্থানগুলোতে প্রাপ্যতা থাকে না, যদি না অ্যাপ্লিকেশনটি ইনস্টল করার সময় ব্যবহারকারী দ্বারা স্পষ্টভাবে প্রাপ্যতাের অনুমতি দেওয়া হয়। যদিও, Felt & Chin (২০১২) এর পর্যবেক্ষণ অনুযাতী, "'স্যান্ডবক্সিং' এবং অনুমতি ব্যবস্থা অ্যাপ্লিকেশনগুলোতে দুর্বলতা এবং বাগের প্রভাব কমায়। কিন্তু ডেভেলপারদের বিভ্রান্তি এবং সীমিত ডকুমেন্টেশনের ফলে অ্যাপ্লিকেশনগুলো নিয়মিতভাবে অপ্রয়োজনীয় অনুমতির অনুরোধ করে। এর ফলে এর কার্যকারিতা হ্রাস পায়"। এর উপরে, এটিও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে যে অ্যান্ড্রয়েডের ফ্র্যাগমেন্টেশন নিরাপত্তার জন্যও একটি সমস্যা। কারণ মূল অপারেটিং সিস্টেমে পাওয়া বাগের প্যাচগুলো প্রায়ই পুরানো এবং কম দামের ডিভাইসের ব্যবহারকারীদের কাছে পৌঁছায় না (কিংসলে-হিউজেস, ২০১৫)। অধিকন্তু, কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় দুর্বলতার উপর গবেষণা চালিয়েছে, যেখানে তারা এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে যে "বিক্রেতাদের প্যাচ এবং আপডেট সহ পুরানো ডিভাইসগুলোকে সমর্থন করতে ব্যর্থতার ফলে সক্রিয় ডিভাইসগুলোর সাতাশি শতাংশেরও বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে" (থমাস, বেরেসফোর্ড এবং রাইস ২০১৪)।
'''নম্বর অনুসারে অ্যান্ড্রয়েড'''
২০১৩ সালের ৩ সেপ্টেম্বরের তথ্য অনুযায়ী গুগল প্লে অ্যাপ স্টোর এক বিলিয়নেরও বেশি অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস সক্রিয় করেছে। আনুমানিক হিসাব অনুসারে, ৪০০ টিরও বেশি অ্যাপ্লিকেশন কমপক্ষে এক কোটি বার এবং ৮০০ টিরও বেশি অ্যাপ্লিকেশন কমপক্ষে পাঁচ কোটি বার ইনস্টল করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এই অ্যাপগুলো হলো গুগল প্লে অ্যাপ যার ডাউনলোড সংখ্যা অনন্য ডিভাইসে এক বিলিয়নেরও বেশি। ২০১৫ সালের ২৫শে জুন তারিখের তথ্য অনুযায়ী এই শীর্ষ বিভাগে স্থান পাওয়ার জন্য ১২টি অ্যাপ্লিকেশন রয়েছে। এগুলোর প্রতিটিই গুগল অথবা ফেসবুকের মালিকানাধীন:
# জিমেইল
# গুগল ম্যাপস
# ইউটিউব
# ফেসবুক
# গুগল সার্চ
# গুগল+
# হোয়াটসঅ্যাপ
# গুগল টেক্সট-টু-স্পিচ
# গুগল বই
# বার্তাবহ
# গুগল হ্যাঙ্গআউট
# গুগল ক্রোম
'''আইওএস প্ল্যাটফর্ম নিরাপত্তা'''
প্রতিটি iOS ডিভাইস সর্বাধিক নিরাপত্তা এবং স্বচ্ছ ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতার জন্য একসাথে কাজ করার জন্য ডিজাইন করা সফটওয়্যার, হার্ডওয়্যার এবং পরিষেবাগুলোকে একত্রিত করে। iOS কেবল ডিভাইস এবং এর ডেটাই সুরক্ষিত রাখে না, বরং সমগ্র ইকোসিস্টেমকে সুরক্ষিত রাখে, যার মধ্যে রয়েছে স্থানীয়ভাবে, নেটওয়ার্কে এবং গুরুত্বপূর্ণ ইন্টারনেট পরিষেবাগুলোর মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা যা কিছু করেন তা। iOS-এর অনেক নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য ডিফল্টরূপে সক্রিয় থাকে, তাই আইটি বিভাগগুলোকে ব্যাপক কনফিগারেশন সম্পাদনের প্রয়োজন হয় না। এবং ডিভাইস এনক্রিপশনের মতো গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্যগুলো কনফিগারযোগ্য নয়, তাই ব্যবহারকারীরা ভুল করেও সেগুলো অক্ষম করতে পারবেন না। অন্যান্য বৈশিষ্ট্য, যেমন টাচ আইডি, ডিভাইসটিকে সুরক্ষিত করা সহজ এবং আরও স্বজ্ঞাত করে ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা উন্নত করে।
'''আইওএস নিরাপত্তা প্রতিশ্রুতি'''
অ্যাপল নিরাপত্তার বিষয়টিকে কেন্দ্র করে iOS প্ল্যাটফর্মটি ডিজাইন করেছে। যখন আমরা সর্বোত্তম সম্ভাব্য মোবাইল প্ল্যাটফর্ম তৈরির লক্ষ্যে যাত্রা শুরু করি, তখন আমরা কয়েক দশকের অভিজ্ঞতা থেকে সম্পূর্ণ নতুন একটি স্থাপত্য তৈরি করি। ফলস্বরূপ, মোবাইল ডিভাইসের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে iOS একটি বড় অগ্রগতি।
আইওএস সিকিউরিটি নিম্নলিখিত বৈশিষ্ট্যগুলো প্রদান করতে চায়:
* সিস্টেম নিরাপত্তা: সমন্বিত এবং সুরক্ষিত সফটওয়্যার এবং হার্ডওয়্যার যা প্ল্যাটফর্ম
আইফোন, আইপ্যাড এবং আইপড টাচের জন্য।
* এনক্রিপশন এবং ডেটা সুরক্ষা: স্থাপত্য এবং নকশা যা ব্যবহারকারীর ডেটা সুরক্ষিত রাখে যদি
ডিভাইসটি হারিয়ে গেলে বা চুরি হয়ে গেলে, অথবা যদি কোনও অননুমোদিত ব্যক্তি এটি ব্যবহার বা পরিবর্তন করার চেষ্টা করে।
* অ্যাপ নিরাপত্তা: এমন সিস্টেম যা অ্যাপগুলোকে নিরাপদে এবং আপস ছাড়াই চালাতে সক্ষম করে
* নেটওয়ার্ক নিরাপত্তা: ট্রান্সমিশনে ডেটার প্রমাণীকরণ এবং এনক্রিপশনের মাধ্যমে শিল্প-মানক নেটওয়ার্কিং প্রোটোকল যা নিরাপদ প্রদান করে ।
* অ্যাপল পে: অ্যাপলের নিরাপদ পেমেন্ট বাস্তবায়ন।
* ইন্টারনেট পরিষেবা: মেসেজিং, সিঙ্কিং এবং ব্যাকআপ।
* ডিভাইস কন্ট্রোল: এমন পদ্ধতি যা ডিভাইসের অননুমোদিত ব্যবহার প্রতিরোধ করে এবং সক্ষম করে। এর মাধ্যমে হারিয়ে গেলে বা চুরি হয়ে গেলে দূর থেকে মুছে ফেলা হবে।
* প্রাইভেসি কন্ট্রোল: iOS এর ক্ষমতা যা লোকেশন প্রাপ্যতা নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যবহার করা যেতে পারে
'''আইওএস নিরাপত্তা সমালোচনা'''
নিরাপত্তা হুমকি মোকাবেলায় অ্যাপলের উন্মুক্ততা নিয়ে বিশেষজ্ঞ এবং সাংবাদিক উভয়ই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। বিশেষ করে তারা আশঙ্কা করছে যে অ্যাপল তার নিরাপত্তা দুর্বলতা সম্পর্কে জনসাধারণকে অবহিত করার জন্য পদক্ষেপ না নিয়ে তার ক্লায়েন্টদের বিপদে ফেলবে। তবে অ্যাপল পণ্যের নিরাপত্তা দুর্বলতা সম্পর্কে জনগণের সচেতনতার অভাব জনসাধারণকে বিভ্রান্ত করার জন্য অ্যাপলের সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। এটি বছরের পর বছর ধরে বেড়েছে (ভিয়েগা, ২০০৯)। এই সমালোচনা অ্যাপলের সময়মতো নিরাপত্তা আপডেট সহ তার পণ্যগুলো আপডেট করতে ব্যর্থতার দিকেও দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। কিছু বিশেষজ্ঞের মতে, সামগ্রিকভাবে, অ্যাপল পণ্যগুলোতে হ্যাকারদের আক্রমণ বা ভাইরাস/ম্যালওয়্যার দ্বারা সংক্রামিত হওয়ার সম্ভাবনা কম, যদিও তারা জোর দিয়ে বলেন যে এটি মূলত অ্যাপল পণ্যগুলোতে আক্রমণে হ্যাকারদের আগ্রহের অভাবের কারণে, যদিও iCloud এবং অ্যাপল ডিভাইসগুলোকে ঘিরে সাম্প্রতিক নিরাপত্তা হুমকিগুলো অন্যথার ইঙ্গিত দেয়।
২০১৩ সালের জুন মাসে দ্য গার্ডিয়ান এবং দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট উভয়ের দ্বারা ফাঁস হওয়া জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার নথি উন্মোচিত হওয়ার পর অ্যাপলের উপর আরেকটি দ্বিধা তৈরি হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। নথিগুলোতে বলা হয়েছে যে অ্যাপল আমেরিকান কোম্পানিগুলোর তালিকায় রয়েছে যারা অভিযোগ করে যে PRISM-এর সাথে সহযোগিতা করে। এটি সরকারকে গোপনে আমেরিকান কোম্পানিগুলোর দ্বারা হোস্ট করা অ-আমেরিকান নাগরিকদের ডেটা প্রাপ্যতা করার সুযোগ দেয় কোনও ওয়ারেন্ট ছাড়াই। সরকারি কর্মকর্তারা এই প্রোগ্রামের অস্তিত্ব স্বীকার করেছেন। এটি থেকে বোঝা যায় যে "এনএসএ-র ওই কোম্পানিগুলোর সার্ভারগুলোতে সরাসরি প্রবেশাধিকার রয়েছে, এবং ফাঁসের আগের বছরগুলোতে প্রোগ্রামের মাধ্যমে সংগৃহীত তথ্যের পরিমাণ দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছিল" (স্যাভেজ, ২০১৩)। অ্যাপল এই প্রোগ্রাম সম্পর্কে কোনও জ্ঞান থাকার কথা অস্বীকার করেছে।
অ্যাপল এখনও iOS নিরাপদ বলে দাবি করে। তবে iOS নিরাপত্তা সংক্রান্ত সাম্প্রতিক কেলেঙ্কারির পর অনেক ব্যবহারকারী ভিন্ন মত পোষণ করবেন। ২০১৫ সালের ২০ সেপ্টেম্বরের দিকে চিহ্নিত সর্বশেষ নিরাপত্তা সংক্রান্ত দুর্নীতির ঘটনাগুলো হলো, চীনে অবস্থিত কিছু ডেভেলপার iOS অ্যাপ স্টোরের জন্য অ্যাপ তৈরি করতে ভুল প্রোগ্রাম ব্যবহার করেছেন।<ref>http://www.macworld.co.uk/feature/iosapps/is-ipad-iphone-ios-safe-xcodeghost-what-security-software-need-3453938/</ref> ধারণা করা হচ্ছে যে ডেভেলপাররা Xcode-এর একটি নকল সংস্করণ ডাউনলোড করেছেন। কারণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে হোস্ট করা অ্যাপলের নিজস্ব সার্ভার থেকে ডাউনলোড করতে অনেক সময় লাগছিল। Xcode-এর মোট আকার প্রায় ৩.৯ গিগাবাইট। চীনা ডেভেলপাররা অ্যাপলের নিজস্ব Xcode-এর পরিবর্তে XcodeGhost ব্যবহার করছিলেন। প্রভাবিত অ্যাপগুলো চীনা হলেও সেগুলোর মধ্যে অ্যাংরি বার্ডস ২-এর মতো কয়েকটি জনপ্রিয় অ্যাপ ছিল। যদিও রোভিও নিশ্চিত করেছে যে অ্যাংরি বার্ডস ২-এর শুধুমাত্র চীনা অ্যাপ স্টোর সংস্করণটি ঝুঁকিপূর্ণ।9to5Mac অনুসারে, শীঘ্রই এর সমাধান আসছে। কিন্তু সাম্প্রতিক নিরাপত্তার কৃতিত্বের পাশাপাশি, ২০১৪ সালটি এমন একটি বছর হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে যেখানে IOS-এর নিরাপত্তা দুর্বলতা সর্বকালের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে বেশ কয়েকটি নিরাপত্তা ত্রুটি চিহ্নিত করা হয়েছিল। এর ফলে যদি ব্যবহারকারী একটি অরক্ষিত হটস্পট ব্যবহার করেন, সম্ভবত একটি ইন্টারনেট ক্যাফেতে একজন আক্রমণকারীর পক্ষে ব্যবহারকারীর ডেটা আটকানো সম্ভব হয়েছিল ।
'''সংখ্যা অনুসারে আইওএস'''
অ্যান্ড্রয়েডের পরে iOS হলো বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বাধিক জনপ্রিয় মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আইপ্যাডের বিক্রি অ্যান্ড্রয়েডের চেয়েও পিছিয়ে। যদিও ওয়েব ব্যবহারের (সকল ব্যবহারের জন্য একটি প্রক্সি) দিক থেকে আইপ্যাড (আইওএস ব্যবহার করে) এখনও সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়। ২০১২ সালের মাঝামাঝি সময়ে ৪১ কোটি ডিভাইস সক্রিয় করা হয়েছিল। WWDC ২০১৪-তে, টিম কুক বলেছিলেন, ২০১৪ সালের জুন নাগাদ ৮০০ মিলিয়ন ডিভাইস বিক্রি হয়েছে। ২৭ জানুয়ারি, ২০১৫ তারিখে অ্যাপলের ত্রৈমাসিক আয়ের আহ্বানের সময়, অ্যাপল ঘোষণা করে যে ২০০৭ সাল থেকে তারা এখন এক বিলিয়ন iOS ডিভাইস বিক্রি করেছে (শুধুমাত্র ২০১৪ সালে বিক্রি হওয়া অ্যান্ড্রয়েডের তুলনায় একটু কম)। ১৬ জানুয়ারি, ২০০৯ তারিখে, অ্যাপল তার ওয়েবসাইটে ঘোষণা করে যে ৫০ কোটি অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড করা হয়েছে। বিলিয়নতম অ্যাপ্লিকেশনটি ২৩শে এপ্রিল, ২০০৯ তারিখে ডাউনলোড করা হয়েছিল। ৩ মার্চ, ২০১২ তারিখে, ডাউনলোড করা অ্যাপের সংখ্যা ২৫ বিলিয়নে পৌঁছেছে। ৮ জুন, ২০১৫ তারিখে, অ্যাপল ঘোষণা করে যে অ্যাপ স্টোর ১০০ বিলিয়ন ডাউনলোড অতিক্রম করেছে।
ডিসেম্বর ২০১৪-এর সবচেয়ে বেশি ডাউনলোড হওয়া আইফোন এবং আইপ্যাড অ্যাপগুলোর তালিকা এখানে দেওয়া হলো: (পেইড/ ফ্রি)
# ক্ল্যাশ অফ ক্ল্যানস / অ্যাংরি বার্ডস ২
# মাইনক্রাফট / স্ন্যাপচ্যাট
# আফটারলাইট / ইউটিউব
# প্লেগ ইনকর্পোরেটেড / ফেসবুক
# স্লিপ সাইকেল অ্যালার্ম ক্লক / ইনস্টাগ্রাম
# ফেসটিউন / প্যান্ডোরা রেডিও
# কাট দ্য রোপ ২ / গুগল ম্যাপস
# ব্লুনস টিডি ৫ / ফ্লিপগ্রাম
# একটি অন্ধকার ঘর / স্পটিফাই
# ৭ মিনিট ওয়ার্কআউট চ্যালেঞ্জ / ২০৪৮
=== ওয়েব ব্রাউজার ===
==== ভূমিকা ====
[[ওয়েব ব্রাউজার]] হলো এমন অ্যাপ্লিকেশন যা একসময় ব্যবহারকারীদের ইন্টারনেট প্রাপ্যতা এবং ব্যবহার করার সুযোগ দেওয়ার জন্য ব্যবহার করা হত। কিন্তু প্রযুক্তি যত উন্নত হচ্ছে, ততই আমরা ব্রাউজারটি খোলার জন্য আরও বেশি ব্যবহার খুঁজে পাচ্ছি। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, ব্যবহারকারী ইন্টারফেস এবং এক্সটেনশনের মতো সহজ বৈশিষ্ট্যগুলো গ্রাহকদের মধ্যে সিদ্ধান্ত প্রক্রিয়ার অংশ হয়ে উঠেছে যখন তারা কোন ওয়েব ব্রাউজার ব্যবহার করবেন তা সিদ্ধান্ত নেন।
প্রথম ওয়েব ব্রাউজারটি তৈরি করা হয়েছিল কেবল WorldWideWeb (পরবর্তীতে নামটি নেক্সাসে পরিবর্তিত হয়)। [[টিম বার্নার্স-লি|স্যার টিম বার্নার্স-লি]] ১৯৯০ সালে এটি তৈরি করেন। সময়ের সাথে সাথে এবং প্রযুক্তির উন্নতির সাথে সাথে, সহজেই প্রাপ্যতাযোগ্য ব্রাউজারের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়, যার কিছুক্ষণ পরেই ১৯৯২ সালে Erwise মুক্তি পায় এবং এটি গ্রাফিক্যাল ইউজার ইন্টারফেস সহ প্রথম সাধারণভাবে প্রাপ্যতাযোগ্য ব্রাউজার ছিল। তবে ১৯৯৩ সালে [[মোজাইক (ব্রাউজার)|মোজাইক]] মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই জনসাধারণের কাছে একটি সহজে অতিক্রমযোগ্য লেআউট উপস্থাপন করা হয়েছিল, যেখানে এটি ব্যবহারকারী সকলের জন্য আরও সুগম ব্যবহারকারী ইন্টারফেসের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করা হয়েছিল। মোজাইকে বাস্তবায়িত অনেক বৈশিষ্ট্য এখনও বর্তমান জনপ্রিয় ব্রাউজারগুলোতে বিদ্যমান, যেমন উপরে একটি URL বার এবং পিছনে/ফরোয়ার্ড বোতাম।
বর্তমানে, বাজারে পাঁচটি ব্রাউজার আধিপত্য বিস্তার করছে; [[ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার]], [[মোজিলা ফায়ারফক্স|ফায়ারফক্স]], [[গুগল ক্রোম|গুগল ক্রোম,]] [[সাফারি (ওয়েব ব্রাউজার)|সাফারি]] এবং [[অপেরা (ওয়েব ব্রাউজার)|অপেরা]] । এই পাঁচটি ব্রাউজারে বেশিরভাগই কিছুটা উন্মুক্ত উৎসের। সোর্স কোডের কিছু দিক সকলের জন্য প্রাপ্যতাযোগ্য। এর একমাত্র ব্যতিক্রম ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার। এটি ১৯৯৫ সালে প্রকাশের পর থেকে সম্পূর্ণ মালিকানাধীন।
==== ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের আধিপত্য এবং পতন ====
ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার প্রথম আত্মপ্রকাশ করে ১৯৯৫ সালে যা [[মাইক্রোসফট কর্পোরেশন|মাইক্রোসফট]] দ্বারা উইন্ডোজ ৯৫ অ্যাড-অন প্যাকেজের অংশ হিসেবে তৈরি করা হয়েছিল এবং লঞ্চের সময় এটি অত্যন্ত সফল হয়েছিল। ২০০০-এর দশকের গোড়ার দিকে, ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার বাজারের বেশিরভাগ অংশ দখল করে রেখেছিল, ২০০৩ সালে ৯৫%-এ পৌঁছেছিল। তবে অন্যান্য জনপ্রিয় ওয়েব ব্রাউজারগুলোর উত্থানের সাথে সাথে, বাজারে ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের আধিপত্য এখন প্রায় হাস্যকর বলে মনে হচ্ছে, ব্রাউজারটি অনেক ইন্টারনেট রসিকতার মূল বিষয়। যদিও এটি শীর্ষ পাঁচটি সর্বাধিক ব্যবহৃত ব্রাউজারের মধ্যে রয়ে গেছে, তবুও এর জনপ্রিয়তা এবং খ্যাতি এখনও ক্ষতিগ্রস্ত এবং ক্রমাগত হ্রাস পাচ্ছে এমন ব্যবহারের পরিসংখ্যান তা প্রতিফলিত করে। <ref>http://gs.statcounter.com/#all-browser-ww-monthly-200812-201602</ref>
ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের ইতিহাসে এমন অনেক বিষয় রয়েছে যা মানুষ এর জনপ্রিয়তা হ্রাসের কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছে, যার মধ্যে কিছু বিষয় এই সত্যকে প্রতিফলিত করে যে IE প্রকৃতিগতভাবে সম্পূর্ণ মালিকানাধীন। প্রথমত, ২০০১ সালে ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের ষষ্ঠ প্রধান সংস্করণ, IE6- এর মুক্তিকে এই মুহূর্তগুলোর মধ্যে একটি বলে মনে করা হয়। [[ম্যালওয়্যার]] এবং অন্যান্য নিরাপত্তা লঙ্ঘনের বৃহৎ সমস্যা দেখা দেওয়ার সাথে সাথে, বিশেষজ্ঞরা ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার ব্যবহারকারীদের অন্যান্য নির্ভরযোগ্য ব্রাউজারে স্যুইচ করার পরামর্শ দিতে শুরু করেছেন। <ref>https://www.schneier.com/blog/archives/2004/12/safe_personal_c.html</ref> ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের একটি সাধারণ অভিযোগ হলো এই ধরণের সমস্যা আবিষ্কার করা এবং সমস্যাটি সমাধানের জন্য একটি প্যাচ প্রকাশ করার মধ্যে সময় লাগে। এটি প্রায়ই এর মালিকানাধীন প্রকৃতির কারণে হয়। এই ধরনের সমস্যা সমাধানের জন্য একটি নিবেদিতপ্রাণ দল থাকার অর্থ হলো, যখন কোনও পরিচিত সমস্যা দেখা দেয় তখন সহায়তা পাওয়া সহজ হয়, তবে নিরাপত্তার বিষয়গুলোর সমাধান খুঁজে বের করার ক্ষেত্রে, উন্মুক্ত উৎসের উপাদানগুলো প্রায়ই সম্প্রদায়গুলোকে দ্রুত সমাধান খুঁজে বের করার জন্য বিনিয়োগ করে এবং তাই তারা একটি পৃথক দলের চেয়ে দ্রুত সমাধান তৈরি এবং প্রকাশ করতে পারে।
ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের পতনের কথা বলার সময় আরেকটি আকর্ষণীয় বিবেচ্য বিষয় হলো হার্ডওয়্যার IE এর সাথে সম্পর্কিত। ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার প্রায়ই মাইক্রোসফট পণ্যের সাথে প্যাকেজ করা হয়, বিশেষ করে উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম এবং এক্সবক্স ৩৬০। তবে যখন ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার প্রাধান্য পেয়েছিল, তখন এটি আরও অনেক ডিভাইসে প্রাপ্যতাযোগ্য ছিল, বিশেষ করে [[ম্যাকিন্টশ|ম্যাকিনটোশ কম্পিউটারে]] । ম্যাকিনটোশ ব্যবহারকারীদের মধ্যে জনপ্রিয় হওয়া সত্ত্বেও, মাইক্রোসফট ঘোষণা করে যে তারা ২০০৫ সালে ম্যাকিনটোশ কম্পিউটারে ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের ডেভেলপমেন্ট বন্ধ করার পরিকল্পনা করছে। যেহেতু IE একটি মালিকানাধীন ব্রাউজার, তাই এটি ডেভেলপমেন্টের দৃষ্টিকোণ থেকে অনেক অর্থবহ। এটি উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের ডেভেলপমেন্টের উপর আরও বেশি মনোযোগ দেওয়ার সুযোগ করে দেয়। তবে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্নতার ফলে বাজারের একটি বৃহৎ অংশ সম্পূর্ণরূপে প্রাপ্যতাযোগ্য হয়ে ওঠে না, এমন একটি সমস্যা যা সফটওয়্যারটি উন্মুক্ত উৎসের হলে বিদ্যমান থাকত না। এই কোড ব্যবহারের মাধ্যমে, ম্যাকিনটোশ ব্যবহারকারীরা নিজেরাই সফটওয়্যারটি আপডেট করতে পারবেন এবং তাদের পছন্দের কম্পিউটারে চালানোর জন্য ব্রাউজারগুলো আপডেট করার পদ্ধতিগুলো বের করতে পারবেন। এই বিশেষ উদাহরণে, মনে হচ্ছে একটি উন্মুক্ত উৎসের ব্রাউজার থাকা বৃহত্তর দর্শকদের কাছে পৌঁছানোর ক্ষেত্রে আরও উপকারী।
==== ফায়ারফক্সের আধিপত্য এবং পতন ====
২০০৪ সালের শেষের দিকে, [[মোজিলা|মজিলা]] ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে মজিলা ফায়ারফক্স প্রকাশ করে। এটি সম্পূর্ণরূপে উন্মুক্ত উৎসের ওয়েব ব্রাউজার। এটি এর গতি, নিরাপত্তা এবং ব্রাউজার এক্সটেনশনের মতো নতুন বৈশিষ্ট্যগুলোর জন্য ব্যাপক প্রশংসা লাভ করে, যাকে অ্যাড-অনও বলা হয়। অধিকন্তু, উন্মুক্ত উৎসের ইন নেচার হওয়ায় ফায়ারফক্স ব্যবহারকারীদের ইন্টারনেটের সাথে কীভাবে যোগাযোগ করা যায় সে সম্পর্কে আরও স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছিল। এটি মজিলা ম্যানিফেস্টোর দ্বিতীয় দাবি "ইন্টারনেট একটি বিশ্বব্যাপী পাবলিক রিসোর্স যা উন্মুক্ত এবং প্রাপ্যতাযোগ্য থাকা উচিত" দ্বারা সবচেয়ে ভালোভাবে অনুমান করা হয়েছে। <ref>https://www.mozilla.org/en-GB/about/manifesto/</ref>
একটি উন্মুক্ত উৎসের ব্রাউজার হিসেবে, ফায়ারফক্স তৃতীয় পক্ষের ডেভেলপমেন্ট থেকে উপকৃত হয়, বিশেষ করে অ্যাড-অনগুলোর মাধ্যমে যা ব্যবহারকারীদের ব্রাউজারটি কীভাবে কাজ করে তা নিয়ন্ত্রণ করতে দেয়। ফায়ারফক্সের কোড সকলের জন্য উপলব্ধ হওয়ার সাথে সাথে, গ্রাহকদের তাদের ব্রাউজিং অভিজ্ঞতায় ইচ্ছামত বৈশিষ্ট্য যোগ করার জন্য এক্সটেনশন তৈরি করার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল, যেমন অ্যাডব্লকের মতো এক্সটেনশন ব্যবহার করে অবাঞ্ছিত বিজ্ঞাপন অপসারণ করা। আরও সুন্দরভাবে, ফায়ারফক্স কাস্টম ব্যবহারকারী থিমগুলোকেও সমর্থন করেছিল। এটি ব্যবহারকারীদের ব্রাউজারের চেহারা এবং রঙের স্কিম পরিবর্তন করার সুযোগ দেয়। এটি আরও উপযুক্ত ব্রাউজিং অভিজ্ঞতা তৈরি করে। নিরাপত্তা সমস্যার সমাধান দ্রুত খুঁজে পাওয়া যায় এবং উন্মুক্ত উৎসের প্রোগ্রামগুলো আরও সুরক্ষিত হওয়ার সাথে সাথে, ফায়ারফক্স তাৎক্ষণিকভাবে জনপ্রিয়তা অর্জন করে, বিশেষ করে তার প্রধান প্রতিযোগী ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার ৬-এর তুলনায়।
তবে ফায়ারফক্সের পরিষেবা হিসেবে একটি প্রধান সমস্যা হলো আপডেট এবং এর মধ্যে থাকা বিষয়বস্তুর ক্ষেত্রে এর নির্ভরযোগ্যতা। ফায়ারফক্সের অনেক আপডেটই ছোটখাটো প্রকৃতির এবং সম্প্রদায়-ভিত্তিক হওয়ায়, গ্রাহকদের আগ্রহের জন্য খুব কমই নতুন, বৃহৎ পরিসরের বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এর ফলে ফায়ারফক্স ব্যবহারকারীদের একটি নিবেদিতপ্রাণ সম্প্রদায় তৈরি হয়। কিন্তু নতুন ব্যবহারকারীর সংখ্যা কম হয়। যদিও ফায়ারফক্সের স্থিতিশীলতা ধারাবাহিকভাবে ভালো রয়ে গেছে, ছোটখাটো সম্প্রদায়-চালিত বাগ সংশোধনের বাইরে প্রভাবশালী উন্নতির অভাবের ফলে এর ব্যবহারের পরিসংখ্যান কিছুটা স্থবির হয়ে পড়েছে। <ref>http://www.digitaltrends.com/computing/internet-explorer-chrome-and-firefox-market-share-for-october/</ref>
==== গুগল ক্রোমের উত্থান ====
২০০৮ সালে গুগল তাদের নিজস্ব ওয়েব ব্রাউজার, গুগল ক্রোম দিয়ে ব্রাউজার যুদ্ধে প্রবেশ করে। মুক্তি পাওয়ার পর থেকে, ক্রোমের জনপ্রিয়তা কেবল বৃদ্ধি পেয়েছে, বর্তমানে এটি বাজারে আধিপত্য বিস্তার করেছে এবং ফেব্রুয়ারি ২০১৬ পর্যন্ত মোট ব্যবহারের ৪৭.৭৭% ব্যবহার রয়েছে। গুগল ক্রোম একটি ফ্রিওয়্যার, যার অর্থ এর কিছু উপাদান রয়েছে যা প্রকৃতিগতভাবে মালিকানাধীন, তবে এর বেশিরভাগ কোডই ওপেন সোর্স। এর জনপ্রিয়তার পেছনে অনেক বৈশিষ্ট্য রয়েছে, এর সহজলভ্য, ন্যূনতম ইন্টারফেস এবং গতি মাত্র কয়েকটি।
উন্মুক্ত উৎসের হওয়ায় ফায়ারফক্সের মতোই ক্রোম উপকৃত হয়েছে, ঘন ঘন আপডেট, থিম এবং ব্রাউজার এক্সটেনশনের মতো বৈশিষ্ট্যগুলো ক্রোম ব্যবহারকারীদের জন্য উপলব্ধ। যদিও ফায়ারফক্সের উন্মুক্ত উৎসের প্রকৃতি এটিকে প্রাথমিকভাবে জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি করেছিল, একই রকম বৈশিষ্ট্য এবং সুপরিচিত আইটি কোম্পানি গুগলের সাথে সংযোগ ক্রোমকে তার আধিপত্য প্রতিষ্ঠার জন্য প্রয়োজনীয় রিলিজের সময় তা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করেছিল। [[ক্রোমিয়াম (ওয়েব ব্রাউজার)|ক্রোমিয়াম]] ক্রোমের সোর্স কোডে সহজে প্রাপ্যতাের সুযোগ করে দেওয়ার ফলে, ইচ্ছুকদের আউটসোর্সিং করে ক্রোমের জন্য লিনাক্স এবং ম্যাক ওএস এক্স পোর্টের কিছু ডেভেলপমেন্ট কাজ সহজ করা হয়েছে। <ref>http://arstechnica.com/information-technology/2008/09/google-unveils-chrome-source-code-and-linux-port/</ref> এর ফলে গুগলকে ইউজার ইন্টারফেস উন্নত করার এবং ব্রাউজারের আরও ভালো বিজ্ঞাপন দেওয়ার মতো বৈশিষ্ট্যগুলোতে মনোনিবেশ করার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছিল, এই সুযোগটি কাজে লাগিয়ে যে সার্চ ইঞ্জিন গুগল তাদের ব্রাউজার প্রচারের জন্য একটি সাধারণভাবে ব্যবহৃত পরিষেবা ছিল। তাদের কোডের ওপেন সোর্সিংয়ের মাধ্যমে ঘন ঘন আপডেটের সুযোগ দেওয়া হয় এবং নির্ভরযোগ্য এবং দ্রুত পরিষেবা পাওয়া যায়, তাই গুগল ক্রোম কেন জনপ্রিয়তার দিক থেকে এগিয়ে চলেছে তা স্পষ্ট।
'''http://www.telegraph.co.uk/technology/news/9163335/Whats-behind-the-rise-of-Google-Chrome.html'''
== উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যার কী? ==
উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যার (OSS) হলো গ্নু এবং Linux এর মতো প্রোগ্রাম যা প্রোগ্রামারদের নির্দিষ্ট সফটওয়্যার সম্পাদনা এবং উন্নত করার জন্য সোর্স কোড পরিবর্তন করতে দেয়। মুইর তার উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যার বইয়ে OSS কে "প্রকৃত সোর্স কোডে প্রাপ্যতা" হিসেবে সংজ্ঞায়িত করেছেন। এটি প্রায়ই গ্নু পাবলিক লাইসেন্সের অধীনে পাওয়া যায়। এটি প্রোগ্রামারদের সফটওয়্যার পরিবর্তন করতে এবং এটি পুনরায় বিতরণ করতে দেয়, এই প্রয়োজনে যে তারা এই পরিবর্তনগুলো অন্যান্য ডেভেলপারদের কাছে উপলব্ধ করে।" <ref>Muir, Scott P, and Leggott, Mark, eds. Open Source Software. Bradford, GBR: Emerald Group Publishing Ltd, 2005. ProQuest ebrary. Web. 5 March 2016</ref> এটিকে বিনামূল্যের সফটওয়্যার হিসাবেও পরিচিত করা যেতে পারে তবে আমি এই বাক্যাংশটি থেকে দূরে থাকব কারণ এটি 'মুক্ত বাকস্বাধীনতা'র পরিবর্তে 'মুক্ত জিনিস' ধারণার মতো বিনামূল্যের কথা উল্লেখ করে।
=== ওএসএসের ইতিহাস ===
ধারণা করা হয় যে UNIVAC ('ইউনিভার্সাল অটোমেটিক কম্পিউটার'-এর সংক্ষিপ্ত রূপ) প্রথম উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যার, 'A-2 সিস্টেম' তৈরি করেছিল। এটি ১৯৫৩ সালে তৈরি করা হয়েছিল এবং সেই বছরের শেষ নাগাদ বিতরণ করা হয়েছিল। পণ্যটিতে সোর্স কোডও অন্তর্ভুক্ত ছিল যা ব্যবহারকারীদের প্রদান করা হয়েছিল যাতে তারা (যদি তারা ইচ্ছা করে) পণ্যের উন্নত সংস্করণগুলো UNIVAC-তে ফেরত পাঠাতে পারে <ref>Peter Cohan. (2009). Back to the 1970s: IBM in mainframe antitrust suit again. Retrieved march/3rd, 2016, from http://www.dailyfinance.com/2009/10/09/back-to-the-1970s-ibm-in-mainframe-antitrust-suit-again/</ref> ১৯৬০-এর দশকের আগের যুগে এটা বলা নিরাপদ ছিল যে বেশিরভাগ প্রোগ্রাম বিনামূল্যে ছিল। তবে এগুলো বিনামূল্যে ছিল না কারণ সফটওয়্যার ডেভেলপাররা গ্রাহকদের বাগ ঠিক করতে এবং পণ্যের উন্নতি ফেরত পাঠাতে সাহায্য করার ধারণাটি পছন্দ করেছিলেন যাতে পণ্যটি আরও ভালোভাবে তৈরি করা যায় (যদিও ইউনিভ্যাকের A-2 সিস্টেমটি এর দ্বারা চালিত হয়েছিল) কিন্তু কারণ সেই সময়ে প্রযুক্তি ছিল ভীতিকর এবং খুবই ভয়ঙ্কর। এর আংশিক কারণ ছিল সেই সময়ে সায়েন্স ফিকশন সিনেমার প্রযোজনাগুলোকে ভৌতিক হিসেবে দেখা হত। মানুষের মনে একটা বিরাট ভয় ছিল,যদি কোম্পানিগুলো তাদের কাজের ব্যাপারে স্বচ্ছ না হয়, তাহলে মানুষ পেছনের দরজা দিয়ে বেরিয়ে যাবে, ফলে হ্যাক করা সহজ হবে।
সময়ের সাথে সাথে প্রযুক্তি অনেক উন্নত হতে শুরু করে, এর ফলে প্রতিযোগীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পায় এবং দামও বৃদ্ধি পায়। তবে প্রতিযোগীদের সংখ্যা বৃদ্ধির অর্থ হলো নোংরা কৌশলের প্রবর্তন। এই বাজারটি একসময় একটি অলিগোপলি ছিল এবং আইবিএমের মতো কোম্পানিগুলো এটিকে এভাবেই রাখতে চাইত। ১৯৬৯ সালে কম্পিউটার বাজারের এই বৃহৎ খেলোয়াড়টির বিরুদ্ধে প্রতিযোগিতামূলক মূল্য নির্ধারণের জন্য একটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। <ref>Hopper, Grace. "Keynote Address". Proceedings of the ACM SIGPLAN History of Programming Languages (HOPL) conference</ref>
=== ওএসএস-এর সমালোচনা ===
সময়ের সাথে সাথে OSS মালিকানাধীন সফটওয়্যারের চেয়ে বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এর মূল কারণ হলো এটি বিনামূল্যে, যেখানে মালিকানাধীন সফটওয়্যারের জন্য মানুষকে অর্থ প্রদান করতে হয়। তবে এটি একটি অলাভজনক সম্প্রদায় দ্বারা তৈরি হওয়ায় এর বেশ কিছু অসুবিধা রয়েছে। মালিকানাধীন সফটওয়্যারের তুলনায় OSS ব্যবহারের অনেক সুবিধা রয়েছে। ব্যবসার জন্য প্রধান সুবিধা হলো উন্মুক্ত উৎসের হলো বাজারে প্রবেশের ক্ষেত্রে ব্যবসার জন্য আরও বেশি সাফল্য অর্জনের একটি ভালো উপায়। যখন কোনও কোম্পানি OSS ব্যবহারের পরিকল্পনা করে, তখন তারা এমন পণ্য প্রতিষ্ঠা করতে পারে যা নির্ভরযোগ্য, উচ্চমানের এবং শিল্পের মানদণ্ডের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ, যার অর্থ তারা প্রতিদ্বন্দ্বী কোম্পানিগুলোর উপর এগিয়ে থাকতে পারে। এটিকে আরও নির্ভরযোগ্য বলে মনে করা হয় কারণ এতে অনেক স্বাধীন প্রোগ্রামার (যেমন লিনাক্স) সহযোগিতা করতে পারে এবং সাধারণ প্রকাশের আগে এর বাগ এবং সমস্যাগুলো খুঁজে বের করতে পারে। রেনল্ডস, <ref>Carl; Jeremy Wyatt (February 2011). "Open Source, Open Standards, and Health Care Information Systems". JMIR 13. doi:10.2196/jmir.1521</ref> OSS এর আরেকটি সুবিধা এবং অনেক নতুন প্রযুক্তি সংস্থা এটি ব্যবহারের অন্যতম কারণ হলো এটি সস্তা এবং ব্যবহার করা সহজ। মালিকানাধীন সফটওয়্যারের বিপরীতে যেখানে ব্যয়বহুল গবেষণা এবং উন্নয়ন করতে হয়।
OSS ব্যবহারের ফলে একটি কোম্পানি তাদের ব্যবহৃত প্রযুক্তির সাথে আরও নমনীয় হতে পারে। এর ফলে একটি ব্যবসা বাজারে দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানাতে পারে এবং দ্রুত উদ্ভাবন অর্জন করতে পারে। এটি একটি ক্রমাগত অগ্রগতিশীল প্রযুক্তিগত বিশ্বে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। OSS কৌশল ব্যবহারের মাধ্যমে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান অ্যাপল এবং মাইক্রোসফটের মতো বৃহৎ কোম্পানির বিরুদ্ধে সুযোগ পায় কারণ এটি সস্তা। <ref>Sharma, Srinarayan; Vijayan Sugumaran; Balaji Rajagopalan (2002). "A framework for creating hybrid-open source software communities"</ref> OSS-এর আরেকটি সুবিধা হলো, সফটওয়্যারের ডেভেলপাররা তাদের নিজস্ব সফটওয়্যারের মতো ক্ষমতায়িত বোধ করবে, যার অর্থ তারা আরও ভালোভাবে তৈরি পণ্য তৈরি করবে কারণ একজন কর্মী তাদের নিজস্ব তৈরিতে কাজ করার জন্য আরও বেশি অনুপ্রাণিত বোধ করবে। এই মালিকানার বোধের কারণে পণ্য এবং কোম্পানির প্রতি আনুগত্য তৈরি হয়। OSS ব্যবহারকারীদের যদি দক্ষ এবং কম্পিউটারে দক্ষ হন, তাহলে বিরক্তিকর বাগ ঠিক করার জন্য পরবর্তী প্যাচের জন্য অপেক্ষা করতে হবে না।
সামগ্রিকভাবে, OSS ব্যবহার আপনার ব্র্যান্ড এবং এর অর্থ কী তা সংজ্ঞায়িত করতে সাহায্য করে। OSS কে ব্র্যান্ডগুলোর জন্য একটি ইতিবাচক ভাবমূর্তি হিসেবে দেখা হয় কারণ এটি ভেন্ডর লক-ইন (যা মালিকানাধীন লক-ইন নামেও পরিচিত) বা প্যাচের জন্য চার্জিংয়ের ধারণার বিরুদ্ধে দাঁড়ায়। যেসব কোম্পানি OSS ব্যবহার করে তারা সাধারণত ব্যবসায়িক পরিভাষা 'কাইজেন' (ক্রমাগত উন্নতি) তে বিশ্বাস করে, যার অর্থ তারা সর্বদা তাদের মূল্যবান গ্রাহকের কাছে আরও ভালো পণ্য সরবরাহ করতে চায়। এটি এই ধারণার প্রতিনিধিত্ব করে যে প্রযুক্তি মুক্ত হওয়া উচিত। আমাদের সবসময় প্রিমিয়াম মূল্য পরিশোধ করতে হবে না।
বেশিরভাগ জিনিসের মতো অনেক দুর্দান্ত সুবিধার সাথে সাথে কিছু অসুবিধাও থাকতে হবে এবং OSSও এর থেকে আলাদা নয়। গ্রাহকদের চাহিদা শোনার জন্য ডেভেলপারদের উপর বাণিজ্যিক চাপের অভাব রয়েছে। এর অর্থ হলো তারা এমন সফটওয়্যার তৈরি করবে যা গ্রাহকদের চেয়ে তাদের চাহিদা অনুসারে তৈরি করা হবে। পণ্যের গুণমান এতে কাজ করা প্রোগ্রামারদের ধরণের দ্বারাও প্রভাবিত হতে পারে। কারণ OSS-এর সাফল্য অনেকটাই দলীয় কাজের উপর নির্ভর করে। সফটওয়্যারটিতে কাজ করা কিছু প্রোগ্রামারের বিভিন্ন লক্ষ্য থাকতে পারে, সফটওয়্যার সম্পর্কে ধারণা থাকতে পারে যা একে অপরের সাথে সাংঘর্ষিক হতে পারে। ইজেল এবং সোর্সএক্সচেঞ্জের মতো বেশ কয়েকটি ওএসএস প্রকল্পে এটি ঘটেছে। <ref>Sharma, Srinarayan; Vijayan Sugumaran; Balaji Rajagopalan (2002). "A framework for creating hybrid-open source software communities"</ref> বড় কোম্পানিগুলো উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যার ব্যবহার না করার একটি প্রধান কারণ হলো নিরাপত্তা ঝুঁকি। সোর্স কোড দেখানো হলে নিরাপত্তার দুর্বলতা দেখা যাবে যা ত্রুটি খুঁজে বের করা সহজ করে তুলতে পারে। বৃহৎ পরিসরে OSS প্রকল্পের ক্ষেত্রে এটি তেমন একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়, তবে একক ব্যক্তির প্রকল্পের ক্ষেত্রে বড় ধরনের নিরাপত্তা ঝুঁকি থাকতে পারে।
উন্মুক্ত উৎসের ব্যবহারের ফলে একই ধরণের জিনিসের ক্লোন তৈরি হয়। এর একটি ভালো উদাহরণ হলো মোবাইল গেম ফ্ল্যাপি বার্ড। যখন এটি সফল হয়, তখন আমরা অ্যান্ড্রয়েডে অনেক অনুরূপ কপি দেখতে পাই। যেখানে ক্লোজড সোর্স সফটওয়্যারের তাদের সফটওয়্যারে কী লাগানো হবে তার উপর বেশি নিয়ন্ত্রণ থাকে <ref>Joab Jackson. Open source vs. proprietary software. Retrieved March/4th, 2016, from http://www.pcworld.com/article/243136/open_source_vs_proprietary_software.html</ref> এর ফলে অনেক OSS প্রকল্প ক্লোন করা হয়। এর ফলে গ্রাহক নিম্নমানের সফটওয়্যারের চাপে পড়ে যান এবং ভালো সফটওয়্যার থেকে বঞ্চিত হন।
ডেভেলপাররা এতে যোগ এবং পরিবর্তন করার সাথে সাথে OSS বাস্তব সময়ে বিকশিত হতে থাকে, যার অর্থ এটি আরও উন্নত মানের হতে পারে। OSS এর সাথে সম্পর্কিত একটি সাধারণ ভুল ধারণা হলো যে এটি মালিকানাধীন সিস্টেমের তুলনায় বেশি নিরাপদ এবং ভাইরাসের ঝুঁকি কম কারণ এর বিপুল সংখ্যক ব্যবহারকারী রয়েছে যারা যেকোনো সমস্যা সমাধানের জন্য সেখানে উপস্থিত থাকে। যদিও এটি সত্য হতে পারে, তবে এটি অগত্যা এটিকে সহজাতভাবে নিরাপদ করে তোলে না। লোকেরা কোডটি দেখে। এর ফলে নিরাপত্তার দুর্বলতাগুলো সহজেই ধরা পড়ে। OSS নিরাপত্তার উপর একটি তদন্তে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে যে OSS কোডকে দৃশ্যমান করে তোলে, তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই, উৎস দৃশ্যমানতা একটি নির্দিষ্ট প্রকল্পের জন্য সৃষ্ট সামগ্রিক নিরাপত্তা ঝুঁকি বাড়াতে খুব কমই সাহায্য করে। নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা জানিয়েছেন,বেশিরভাগ পরিস্থিতিতে, উৎসের দৃশ্যমানতা প্রকল্পের স্থিতিশীলতা এবং নিরাপদ অবস্থার সম্মতিতেও সহায়তা করতে পারে।
<u>সফটওয়্যার</u> সবকিছুই একটি একক অপারেটিং সিস্টেম ইউনিক্স থেকে আসে, মূলত এটি IOS10 সহ ম্যাকের IOS সিস্টেমের ভিত্তি স্থাপন করে। এটি মূলত কোড লেখার পরিবর্তে একটি আগে থেকে তৈরি অপারেটিং সিস্টেম। যদিও এটি প্রায় প্রতিটি অপারেটিং সিস্টেমের ভিত্তি তৈরি করে, এটি খুবই 'বন্ধ'। কিন্তু এটি এই তত্ত্বের পরিপন্থী যে সবাই চায় সবকিছু উন্মুক্ত থাকুক এবং ভাগ করে নেওয়া হোক যাতে আপনি আপনার চাহিদা অনুযায়ী সফটওয়্যারটি সম্পাদনা এবং তৈরি করতে পারেন।
সহজ কথা হলো, সকলেই তাদের চাহিদা অনুযায়ী সফটওয়্যার সম্পাদনা এবং পরিচালনা করতে চায় না। এটা তাদের জন্য খুব জটিল হতে পারে অথবা তারা হয়তো আগ্রহী নাও হতে পারে। কিছু ব্যক্তি কেবল একটি সাধারণ কাজের জন্য কম্পিউটার ব্যবহার করতে চান এবং লগ ইন এবং CLU ব্যবহারের ঝামেলা মোকাবেলা করতে চান না। এই ক্ষেত্রে একটি GUI, গ্রাফিক্যাল ইউজার ইন্টারফেসই যথেষ্ট। এটি দ্রুত, সহজ এবং ব্যবহার করা সহজ। ব্যবহারকারী কী চায় তা আপনাকে বিবেচনা করতে হবে। তারা কি অফুরন্ত কোডিং চায় নাকি মেকানিক্স চায়, তবে কি এটা উন্মুক্ত নাকি বাণিজ্যিকীকরণ করা হবে?
== মালিকানাধীন সফটওয়্যার ==
=== ভূমিকা ===
মালিকানাধীন সফটওয়্যার হলো এমন সফটওয়্যার যা আইনত সম্পূর্ণরূপে এর স্রষ্টা বা স্রষ্টাদের মালিকানাধীন। সাধারণত, মালিকানাধীন সফটওয়্যারের সোর্স কোড দেখার ক্ষমতা এবং এর পরিবর্তনের উপর খুব কঠোর বিধিনিষেধ থাকে। এই সীমাবদ্ধতার কারণে, ব্যবহারকারীর প্রয়োজন অনুসারে প্রোগ্রামটি পরিবর্তন বা সংশোধন করার ক্ষমতা সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ। এই ধরণের সফটওয়্যার (যদিও কখনও কখনও বিনামূল্যে) সাধারণত শুধুমাত্র একটি ফি দিয়ে পাওয়া যায় এবং শুধুমাত্র লাইসেন্সপ্রাপ্ত কী হোল্ডাররা এর উদ্দেশ্যে সফটওয়্যারটি ব্যবহার করতে পারেন।
মালিকানাধীন সফটওয়্যার লাইসেন্স এবং লাইসেন্স চুক্তির মাধ্যমে ব্যবহৃত হয়। ডগলাস ই ফিলিপস তার "সফটওয়্যার লাইসেন্স উন্মোচিত" বইতে রূপরেখা দিয়েছেন : লাইসেন্স আইন কীভাবে সফটওয়্যার প্রাপ্যতা নিয়ন্ত্রণ করে", <ref>Phillips, DE 2009, Software License Unveiled : How Legislation by License Controls Software Access, Oxford University Press, USA, Cary, NC, USA. Available from: ProQuest ebrary. [6 March 2016].</ref> সমস্ত ব্যবহারকারী লাইসেন্স চুক্তি অনুসরণ করে এমন নির্দিষ্ট নির্দেশিকা।
এর মধ্যে রয়েছে:- "আপনি হয়তো ভেবেছেন যে আপনি কিছু কিনেছেন। কিন্তু আপনি তা করেননি। সফটওয়্যারটি লাইসেন্সপ্রাপ্ত, বিক্রি করা হয়নি।"
"আপনি এখন একটি সফটওয়্যার কোম্পানির সাথে একটি চুক্তির পক্ষ। লাইসেন্সটি আপনার এবং সফটওয়্যার প্রদানকারীর মধ্যে একটি আইনত বাধ্যতামূলক চুক্তি।"
"যদি এটি না বলে যে আপনি এটি করতে পারবেন, তাহলে আপনি পারবেন না। সফটওয়্যার প্রদানকারী আপনাকে সফটওয়্যারটি ব্যবহারের সুযোগ দেয়। কিন্তু আপনি এমন কিছু করতে পারবেন না যা লাইসেন্স স্পষ্টভাবে সুযোগ দেয় না। অবশ্যই, আপনাকে এমন কিছু করা থেকেও বিরত থাকতে হবে যা এটি স্পষ্টভাবে নিষিদ্ধ করে। উদাহরণস্বরূপ, আপনি একবারে একাধিক ব্যক্তিকে সফটওয়্যারটি ব্যবহার করতে দিতে পারবেন না; এটি পুনরায় বিক্রয় বা বিপরীত প্রকৌশলী করতে পারবেন; অথবা, যদি সফটওয়্যারটি একটি নির্দিষ্ট ধরণের শেষ ব্যবহারকারীর জন্য মনোনীত করা হয়, তাহলে সেই ধরণের শেষ ব্যবহারকারী না হয়ে এটি ব্যবহার করুন।"
"যদি আপনি এমন কিছু করেন যা এটি বলে না যে আপনি করতে পারবেন (অথবা বলে যে আপনি করতে পারবেন না), তাহলে আপনি সফটওয়্যারটি একেবারেই ব্যবহার করতে পারবেন না। সফটওয়্যারটি ব্যবহারের জন্য আপনার অনুমতি লাইসেন্স চুক্তির সমস্ত শর্তাবলী মেনে চলার উপর নির্ভরশীল, যার মধ্যে আপনার ব্যবহারকে সীমাবদ্ধ করে এমন সমস্ত শর্তাবলীও অন্তর্ভুক্ত। ফলস্বরূপ, যেকোনো শর্ত লঙ্ঘনের ফলে আপনার সমস্ত লাইসেন্স অধিকার নষ্ট হতে পারে এবং আপনি কেবল চুক্তি ভঙ্গকারীই নন, বরং কপিরাইট লঙ্ঘনকারীও হয়ে ওঠেন।"
"যদি সফটওয়্যার কোম্পানি কিছু করতে চায়, তাহলে তা করতে পারে। আপনি সফটওয়্যার প্রদানকারীকে সফটওয়্যারে পণ্য সক্রিয়করণ, পণ্য যাচাইকরণ এবং স্বয়ংক্রিয় আপডেট ফাংশন অন্তর্ভুক্ত করার জন্য নিঃশর্ত অনুমতি দেন। এই ফাংশনগুলো সফটওয়্যারে আপনার প্রাপ্যতাকে প্রভাবিত করতে পারে, এবং সম্ভাব্যভাবে আপনার কম্পিউটারে, এবং সফটওয়্যার এবং আপনার কম্পিউটার সম্পর্কে তথ্য সফটওয়্যার প্রদানকারীর কাছে প্রেরণ করতে পারে।"
"যদি সফটওয়্যারে কিছু ভুল হয়ে যায়, তাহলে তা ঠিক করার জন্য সফটওয়্যার কোম্পানির উপর নির্ভর করবেন না। আপনি সম্মত হন যে সফটওয়্যার সরবরাহকারী আপনাকে খুব কম বা কোনও ওয়ারেন্টি দেয় না এবং সফটওয়্যার ত্রুটির জন্য আপনার কাছে খুব কম বা কোনও দায়বদ্ধতা থাকবে না। আপনি আরও সম্মত হন যে সফটওয়্যার তৃতীয় পক্ষের অধিকার লঙ্ঘন করলে আপনার বিরুদ্ধে যে দাবি হতে পারে তার জন্য সফটওয়্যার সরবরাহকারী দায়ী থাকবে না।" (ফিলিপস, ২০০৯)
মুক্ত সফটওয়্যার আন্দোলন ১৯৮৩ সালে শুরু হয়েছিল। এর প্রবর্তনের পর একদল ব্যক্তি "মুক্ত সফটওয়্যার" শব্দটিকে উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যার (OSS) দ্বারা প্রতিস্থাপন করার পক্ষে মত প্রকাশ করেন। এটি কর্পোরেট জগতের ক্ষেত্রে আরও সুবিধাজনক। সফটওয়্যার ডেভেলপাররা তাদের সফটওয়্যারটি একটি উন্মুক্ত উৎসের লাইসেন্স কাঠামোর মধ্যে প্রকাশ করতে চাইতে পারেন যাতে যে কেউ একই সফটওয়্যারটি তৈরি করতে পারে অথবা এর অভ্যন্তরীণ কার্যকারিতা সম্পর্কে আরও ভালভাবে বুঝতে পারে। উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যারের সাহায্যে, যে কেউ এতে পরিবর্তন আনতে, নতুন অপারেটিং সিস্টেম এবং প্রসেসর আর্কিটেকচারে পোর্ট করতে সক্ষম। এটি এটিকে অন্যদের সাথে ভাগ করে নেওয়ার বা কিছু ক্ষেত্রে বাজারজাত করার সুযোগ দেয়।
=== উদাহরণ ===
প্রোপ্রাইটি সফটওয়্যারের সবচেয়ে বেশি ব্যবহারকারীদের মধ্যে একটি হলো [https://www.microsoft.com/en-gb মাইক্রোসফট কর্পোরেশন] । [[উইন্ডোজ এক্সপি]] এবং [[উইন্ডোজ ৮|উইন্ডোজ ৮ এর]] মতো অপারেটিং সিস্টেম থেকে শুরু করে বিশ্বব্যাপী প্রভাবশালী [[মাইক্রোসফট অফিস]] প্রোগ্রাম পর্যন্ত প্রতিটি সফটওয়্যারই সুরক্ষার যথাযথ ব্যবস্থা ব্যবহার করে। মালিকানাধীন প্রোগ্রামগুলোর আরও উদাহরণগুলোর মধ্যে রয়েছে; [http://www.adobe.com/ অ্যাডোবি ফ্ল্যাশ প্লেয়ার], [[আইটিউন্স|আইটিউনস]] এবং [[ম্যাকওএস|ম্যাক ওএস এক্স]] ।
=== সুবিধা ===
মালিকানাধীন সফটওয়্যার ব্যবহারের সুবিধা এবং অসুবিধা উভয়ই রয়েছে। উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যার সিস্টেমের পরিবর্তে মালিকানাধীন সফটওয়্যার সিস্টেম ব্যবহারের সুবিধা হলো যে পণ্যটি ব্যবহার করার সময় আপনার যে কোনও সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে তার জন্য অনেক বেশি নিবেদিতপ্রাণ সহায়তা রয়েছে। যেহেতু মালিকানাধীন সফটওয়্যারটি কোনও কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান দ্বারা তৈরি করা হয় এবং পণ্য হিসেবে বিক্রি করা হয়, তাই কোনও সমস্যা হলে বা সিস্টেম ইনস্টল/সেট আপ করার ক্ষেত্রে যদি তাদের সাহায্যের প্রয়োজন হয়, তাহলে গ্রাহকদের জন্য সর্বদা সহায়তা পাওয়া নিশ্চিত করা কোম্পানির স্বার্থে। এটি উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যার থেকে আলাদা, যেখানে একটি কমিউনিটি সাপোর্ট সিস্টেম বেশি থাকে যেখানে সঠিক সমাধান খুঁজে না পাওয়া পর্যন্ত আপনাকে বিভিন্ন সমাধান অনুসন্ধান করতে হতে পারে। মালিকানাধীন সফটওয়্যার সাধারণত ব্যবসায়িক জগতের চাহিদা পূরণের জন্য এবং বাজারের চাহিদা পূরণের জন্য তৈরি করা হয়। এই কারণে, মালিকানাধীন সফটওয়্যারে প্রায়ই উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যারের তুলনায় বেশি বৈশিষ্ট্য থাকে, উদাহরণস্বরূপ, ওয়ার্ড এবং এক্সেল সহ সমস্ত [[মাইক্রোসফট অফিস]] অ্যাপ্লিকেশনগুলোকে একই সাথে একই কাজে কাজ করার জন্য একসাথে লিঙ্ক করা যেতে পারে।
=== সমালোচনা ===
মালিকানাধীন সফটওয়্যারের একটি প্রধান সমালোচনা হলো যে এই ধরণের সফটওয়্যারের বেশিরভাগই কেবল ক্রয়ের মাধ্যমে পাওয়া যায়। এই ধরণের সফটওয়্যারের দামের পরিসর সস্তা থেকে শুরু করে খুব ব্যয়বহুল পর্যন্ত হতে পারে, উদাহরণস্বরূপ, [[উইন্ডোজ ১০|Windows ১০]] £২৯.৯৯ পর্যন্ত সস্তা হতে পারে। এটি [[অ্যাডোবি ফটোশপ|Adobe Photoshop]] এর মতো অন্যান্য প্রোগ্রামের দাম £২০০০ এ কেনা যাবে। দামের এই পরিসরটি সাধারণ ব্যবহারকারীর জন্য খুবই বিরক্তিকর হতে পারে কারণ একটি কম্পিউটার প্রোগ্রামের জন্য হাজার হাজার পাউন্ড খরচ করা খুবই অযৌক্তিক বলে মনে হয়। মালিকানাধীন সফটওয়্যারের আরও একটি সমালোচনা হলো এর সোর্স কোড দেখতে এবং প্রোগ্রামের কোডিং পরিবর্তন করতে না পারা। ব্যবসায়িক জগতে বিদ্যমান চাহিদা এবং প্রয়োজনীয়তা ক্রমাগত পরিবর্তিত হচ্ছে। এই ক্রমাগত পরিবর্তনশীল পরিবেশের সাথে, মালিকানাধীন সফটওয়্যার প্রায়ই তাদের গ্রাহকদের চাহিদার সাথে তাল মিলিয়ে চলতে পিছিয়ে পড়তে পারে। এটি উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যারের বাজার উন্মুক্ত করে দেয় কারণ ব্যবহারকারীরা চাইলে তাদের উদ্দেশ্য অনুসারে সফটওয়্যারের কার্যকারিতা পরিবর্তন করতে পারেন। মালিকানাধীন সফটওয়্যারে কাস্টমাইজেশন এবং স্ব-উন্নতির অভাবের কারণেই অনেক মানুষ উন্মুক্ত উৎসের সিস্টেম ব্যবহার করতে পছন্দ করে।
=== ওপেন সফটওয়্যার বনাম মালিকানাধীন সফটওয়্যার ===
ওপেন সফটওয়্যার মূলত এমন একটি সফটওয়্যার যা সকলের জন্য বিনামূল্যে এবং প্রাপ্যতাযোগ্য। এটি তাদের চাহিদা পূরণের জন্য প্রোগ্রামটি পরিবর্তন করতে দেয়। এটি অনেক কম্পিউটিং ভক্তদের বিশ্বাস করা অনেক মূল থিম এবং ধারণার একটি অনুসরণ করে। তবে একটি খুব বড় নিরাপত্তা ঝুঁকি রয়েছে এবং ওপেন সফটওয়্যার ব্যবহার করার সময় অনেক লাইসেন্সিং আইন বিবেচনায় নিতে হয়। অন্যদিকে মালিকানাধীন সফটওয়্যার আছে যা অর্থায়ন করা হয় এবং আপনাকে এর জন্য অর্থ প্রদান করতে হবে। এর একটি গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ হলো উইন্ডোজ এক্সপি। প্রায়শই মালিকানাধীন সফটওয়্যার হ্যাকারদের তাদের সিস্টেমে থাকা যেকোনো ত্রুটি বা বাগ কাজে লাগাতে বলে। কিন্তু যখন সমস্যাটি শনাক্ত করা হয়, তখন প্রায়ই তারা এই সমস্যা সমাধানের জন্য কিছু করে না। কারণ এতে অন্যান্য পক্ষের আগ্রহ থাকে। ওপেন সফটওয়্যার খুবই উপকারী কারণ এটি একাধিক ব্যক্তিকে একই জিনিসে একসাথে কাজ করার সুযোগ দেয়, যেমন এই প্রকল্পটি। এটি খুবই কার্যকর, ব্যক্তিদের অন্যদের কাজ পর্যালোচনা করার সুযোগ করে দেওয়ার ফলে আরও সমস্যা চিহ্নিত এবং সমাধান করা হবে। ব্যবহারে খুবই উপকারী, ওপেন সফটওয়্যার আপনাকে একসাথে একাধিক ব্যবহারকারী রাখার সুযোগ দেয়, তবে এটির অপব্যবহার না করা গুরুত্বপূর্ণ। কোনও বাগ-মুক্ত সফটওয়্যার নেই, এটি ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং আরও ভালোর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। প্রোপ্রাইটারি সফটওয়্যারে CLI-এর বিপরীতে GUI এবং ইন্টারঅ্যাকশন বেশি থাকে। এটি সাধারণত ওপেন সফটওয়্যারের সাথে সম্পর্কিত। একটি GUI (গ্রাফিক্যাল ইউজার ইন্টারফেস) মূলত ছবির একটি সিরিজ, একটি মেনু। এটি দ্রুত এবং সহজেই ঘুরে দেখা যায় এবং ব্যবহার করা যায়। এটি এমন ব্যবহারকারীদের জন্য খুবই উপকারী যারা কম্পিউটার শিক্ষিত নন এবং কেবল দ্রুত প্রযুক্তি ব্যবহার করতে চান।
== উন্মুক্ত উৎসের ও মালিকানাধীন সফটওয়্যারের ভবিষ্যৎ ==
উন্মুক্ত উৎসের পূর্ব-বিদ্যমান নকশা এবং ব্লুপ্রিন্টের পরিবর্তন এবং পুনর্বণ্টনকে সর্বজনীনভাবে অবাধে উপলব্ধ করার সুযোগ দেয়। প্রোগ্রামিংয়ের ক্ষেত্রে ওপেন সোর্সের ভবিষ্যৎ নিঃসন্দেহে অনেক প্রোগ্রামার এবং ব্যবসার দ্বারা ব্যবহৃত হতে থাকবে। [http://www.zdnet.com/ ZDNet] দ্বারা পরিচালিত একটি জরিপে দেখা গেছে, ৭৮% কোম্পানি তাদের অনুশীলনে উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যার ব্যবহারের সাথে খাপ খাইয়ে নিয়েছে। এটি একটি স্মরণীয় পদক্ষেপ কারণ ২০১০ সালে "ওপেন সোর্সের ভবিষ্যৎ" জরিপের প্রতিক্রিয়ায়, মাত্র ৪২% কোম্পানি বলেছিল যে তারা OSS ব্যবহার করে। ৯৩% বলেছেন যে গত বছর ধরে ওপেন সোর্সের ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়েছে অথবা স্থির রয়ে গেছে। বর্তমানে, ৬৪% কর্পোরেশন উন্মুক্ত উৎসের প্রকল্পে অংশগ্রহণ করে - যা ২০১৪ সালের তুলনায় ১৪% বেশি। উন্মুক্ত উৎসের প্রকল্পে কোম্পানিগুলোর সম্পৃক্ততার অদূর ভবিষ্যতের পূর্বাভাস ৮৮%-এ উন্নীত হবে বলে আশা করা হচ্ছে <ref>http://www.zdnet.com/article/its-an-open-source-world-78-percent-of-companies-run-open-source-software/</ref>
একজন প্রোগ্রামার হিসেবে উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যারের ভবিষ্যৎ ইতিমধ্যেই তাদের দৈনন্দিন জীবনের অংশ। একজন আধুনিক প্রোগ্রামার হিসেবে, আপনার বর্তমান প্রকল্পগুলোর বেশিরভাগই ইতিমধ্যেই অন্যান্য প্রোগ্রামাররা তাদের বিনামূল্যে উপলব্ধ কোড Github-এর মতো ওয়েবসাইটে রেখে সম্পন্ন করেছেন। এর ফলে ব্যবহারকারীরা এই উন্মুক্ত উৎসের প্রকল্পগুলো ডাউনলোড এবং শেয়ার করতে পারবেন। <ref>https://github.com/github</ref> আজকাল প্রোগ্রামাররা ইতিমধ্যেই করা কোড পুনরায় লিখতে চান না। অদূর ভবিষ্যতে, প্রোগ্রামাররা কেবল উন্মুক্ত উৎসের কোডের কিছু অংশ নেবে এবং সেই প্রকল্পটিকে আরও অনেকের সাথে একত্রিত করে একটি চূড়ান্ত প্রকল্প তৈরি করবে। এটি বিভিন্ন দক্ষতা স্তরের প্রোগ্রামারদের এই উন্মুক্ত উৎসের প্রকল্পগুলো বুঝতে এবং বাস্তবায়ন করতে সাহায্য করে, এছাড়াও প্রোগ্রামারদের একটি প্রকল্প সম্পূর্ণ করার জন্য সময় এবং অর্থ সাশ্রয় করে।
উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যারের ভবিষ্যৎ আমাদের সমাজের প্রযুক্তির অগ্রগতির উপর নাটকীয় প্রভাব ফেলবে। এর একটি উদাহরণ হতে পারে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি হেডসেট, ওকুলাস রিফট। এই হেডসেটের সম্পূর্ণ সোর্স কোড ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে জনসাধারণের জন্য প্রকাশ করা হয়েছিল। <ref>http://www.forbes.com/sites/jasonevangelho/2014/01/10/rumor-oculus-rift-will-launch-summer-2014-for-less-than-499/#fe6788046985</ref> এই হেডসেটটি সম্পূর্ণরূপে উন্মুক্ত উৎসের হওয়ার পর এই পণ্যটির অগ্রগতি অসাধারণ। ২০১৪ সালে ওকুলাস রিফটসের সোর্স কোড প্রকাশের পর এটি স্যামসাং গিয়ার ভার্চুয়াল রিয়েলিটি হেডসেটের মতো নতুন ভার্চুয়াল রিয়েলিটি হেডসেটগুলো বুঝতে এবং তৈরি করতে সহায়তা করেছে। <ref>http://www.samsung.com/uk/consumer/mobile-devices/wearables/gear/SM-R320NPWABTU</ref>
বিল গেটস ১৯৯৪ সালের পর জন্মগ্রহণকারী শিশুদের ইন্টারনেটের সাথে বেড়ে ওঠা প্রথম প্রজন্ম হিসেবে উল্লেখ করেছেন। ১০-১২ বছর বয়সী ৯০% শিশু অনলাইন গেম খেলে। <ref>https://hbr.org/2012/04/the-mobile-re-generation</ref> যেহেতু এই শিশুদের মধ্যে প্রযুক্তি তাদের জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ, তাই এখন অনেক স্কুলে প্রোগ্রামিং শেখানো হচ্ছে। শিশুদের প্রোগ্রামিং দক্ষতা বিকাশের জন্য এখন প্রোগ্রামিং ক্লাব প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। <ref>http://coderdojostirling.com/</ref> এর থেকে বোঝা যায়,প্রযুক্তির ব্যবহার বছরের পর বছর ধরে বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে ওপেন সোর্সের ব্যবহারও বৃদ্ধি পাবে। সকল বয়সের শিশুরা তাদের নিজস্ব আনন্দের জন্য প্রকল্পগুলো সম্পন্ন করার জন্য উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যার ব্যবহার করে। এখন স্কুলে শিশুরা প্রোগ্রামিং শিখছে, তাই অনলাইন ইন্টারেক্টিভ প্রোগ্রামিং ক্লাসগুলো ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। <ref>https://www.codecademy.com/learn</ref> বেশিরভাগ মানুষের কাছে ইন্টারনেট সহজলভ্য হওয়ার সাথে সাথে, এই ইন্টারেক্টিভ প্রোগ্রামিং ক্লাসের ব্যবহার ক্রমশ বৃদ্ধি পাবে। এর অর্থ হলো, যত বেশি মানুষ প্রোগ্রামিং শিখবে, ওপেন সোর্সের ব্যবহার তত বাড়বে।
'উন্মুক্ত উৎসের গ্রাহক এবং ব্যবসার মধ্যে স্বাধীনতা প্রদান করে', <ref>http://open-source.gbdirect.co.uk/migration/benefit.html#flexibilityfreedom</ref> কিছু মালিকানাধীন সফটওয়্যার নমনীয় বলে দাবি করে কিন্তু নমনীয়তা সৃজনশীলতাকে বোঝায় এবং উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যার ব্যবহারের মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা কোনও সীমা ছাড়াই তাদের নিজস্ব প্রয়োজনের জন্য নিজস্ব সফটওয়্যার তৈরি করতে পারে। উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যার ব্যবহারকারীদের নিয়ন্ত্রণে থাকতে, তাদের নিজস্ব সিদ্ধান্ত নিতে এবং তারা যা চায় তা করতে সাহায্য করে। <ref>http://www.pcworld.com/article/209891/10_reasons_open_source_is_good_for_business.html</ref> আজকাল মানুষ জানে তারা কী চায় এবং কীভাবে তারা কাজ করতে চায়, এবং প্রযুক্তি আমাদের জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে ওঠার সাথে সাথে উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যারের ব্যবহারও বৃদ্ধি পাবে।
মানুষ এমন ব্যক্তি যারা নিজের সিদ্ধান্ত নিতে এবং স্বাধীনভাবে কাজ করতে পছন্দ করে এবং উন্মুক্ত উৎসের এই ধারণাকে সম্পূর্ণরূপে সমর্থন করে। ওপেন সোর্সের ভবিষ্যৎ খুবই ইতিবাচক দেখাচ্ছে; বর্তমানে এটি ইতিমধ্যেই প্রযুক্তিগত জীবনযাত্রার একটি সমন্বিত অংশ। সাধারণত, আজকাল উৎপাদিত প্রতিটি সফটওয়্যারের উন্নয়নে উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যার ব্যবহার করা হয়। বছরের পর বছর ধরে প্রযুক্তিগত অগ্রগতি উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যার ব্যবহারের দ্বারা ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হয়েছে। কারণ প্রতিটি প্রোগ্রামারের হাতে বিশাল ডেভেলপার রয়েছে। এছাড়াও ১৯৯৪ সালের পরে জন্ম নেওয়া শিশুদের দৈনন্দিন জীবনে এখন প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু হয়েছে, তাদের ছোটবেলা থেকেই প্রোগ্রামিং শেখানো হচ্ছে এবং ব্যক্তিরা অনলাইনে ইন্টারেক্টিভ প্রোগ্রামিং ক্লাসেও অংশগ্রহণ করছে। প্রযুক্তির ক্রমাগত অগ্রগতি এবং ব্যবহারের সাথে সাথে এটি অনিবার্য যে সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্টের ক্ষেত্রে উন্মুক্ত উৎসের ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হবে কারণ এর অনেক সুবিধা রয়েছে। ভবিষ্যতেও উন্মুক্ত উৎসের ব্যবহার অব্যাহত থাকবে, তবে উন্মুক্ত উৎসের ইতিমধ্যেই প্রযুক্তিগত উন্নয়নের একটি সমন্বিত অংশ। '''ভবিষ্যৎ এখানেই।'''
== শব্দকোষ ==
== শব্দকোষ ==
সমস্ত শর্তাবলী ইন্টারনেট অফ এভরিথিংয়ের উপরের অধ্যায় থেকে নেওয়া হয়েছে। সমস্ত সংজ্ঞা উইকিপিডিয়া এবং অক্সফোর্ড অভিধান থেকে নেওয়া হয়েছে।
4Chan 4chan একটি ইংরেজি ভাষার ইমেজ বোর্ড ওয়েবসাইট। ব্যবহারকারীরা সাধারণত বেনামে পোস্ট করেন, সাম্প্রতিকতম পোস্টগুলি বাকিগুলির উপরে প্রদর্শিত হয়। 4chan তাদের নিজস্ব নির্দিষ্ট সামগ্রী এবং নির্দেশিকা সহ বিভিন্ন বোর্ডে বিভক্ত। রেজিস্ট্রেশনের প্রয়োজন হয় না, বা এটি সম্ভব নয় (স্টাফ ব্যতীত)।
অ্যান্ড্রয়েড একটি অপারেটিং সিস্টেমের নাম, প্রধানত ম্যাক নয় এমন ডিভাইসগুলিতে ব্যবহৃত হয়।
অনামী অ্যানোনিমাস অ্যাক্টিভিস্ট এবং হ্যাক্টিভিস্ট সত্তাগুলির একটি আলগাভাবে যুক্ত আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক। এই গোষ্ঠীর সাথে নামমাত্র যুক্ত একটি ওয়েবসাইট এটিকে "একটি ইন্টারনেট সমাবেশ" হিসাবে বর্ণনা করে "একটি খুব আলগা এবং বিকেন্দ্রীভূত কমান্ড কাঠামো যা নির্দেশের পরিবর্তে ধারণার উপর কাজ করে"
লেখক লেখার পেশা, লেখার উৎস (লেখক হিসাবে) লেখা, সঙ্গীত বা শিল্পের একটি অংশ।
ক্রিয়েটিভ কমন্স ক্রিয়েটিভ কমন্স একটি অলাভজনক সংস্থা যা বিনামূল্যে আইনি সরঞ্জামগুলির মাধ্যমে সৃজনশীলতা এবং জ্ঞান ভাগ করে নেওয়া এবং ব্যবহার সক্ষম করে।
জ্ঞানীয় লোড ওয়ার্কিং মেমরিতে ব্যবহৃত মানসিক প্রচেষ্টার পরিমাণ।
কাস্টমাইজেবিলিটি আপনাকে আপনার প্রয়োজন অনুসারে কিছু কাস্টমাইজ এবং সম্পাদনা করার অনুমতি দেওয়ার কাজ।
ডারউইন উন্মুক্ত উৎসের ইউনিক্স অপারেটিং সিস্টেম যা অ্যাপল দ্বারা নির্মিত এবং ২০০০ সালে মুক্তি পায়।
বিকেন্দ্রীকরণ একটি কেন্দ্রীয় অবস্থান বা কর্তৃপক্ষ থেকে দূরে ফাংশন, ক্ষমতা, মানুষ বা জিনিস পুনরায় বিতরণ বা ছড়িয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া।
ডিজিটাল রাইটস ম্যানেজমেন্ট (DRM) বিভিন্ন প্রাপ্যতা কন্ট্রোল প্রযুক্তি যা মালিকানাধীন হার্ডওয়্যার এবং কপিরাইটযুক্ত কাজগুলির ব্যবহার সীমাবদ্ধ করতে ব্যবহৃত হয়।
একটি নির্দিষ্ট শাসক বা সরকার দ্বারা মালিকানাধীন বা নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলের একটি এলাকা ডোমেন
গুটেনবার্গ ছাপাখানার স্রষ্টা।
হ্যাকার একজন ব্যক্তি যিনি ডেটাতে অননুমোদিত প্রাপ্যতা অর্জনের জন্য কম্পিউটার ব্যবহার করেন।
হ্যাক্টিভিজম হ্যাক্টিভিজম হ'ল রাজনৈতিক বা সামাজিকভাবে অনুপ্রাণিত উদ্দেশ্যে হ্যাকিং বা কম্পিউটার সিস্টেমে প্রবেশ করার কাজ। যে ব্যক্তি হ্যাক্টিভিজমের কাজ করে তাকে হ্যাক্টিভিস্ট বলা হয়।
হার্ডওয়্যার বস্তু যা বাস্তব। এটি আপনি শারীরিকভাবে স্পর্শ করতে এবং সরাতে পারেন। কম্পিউটার হার্ডওয়্যার স্পিকার, কীবোর্ড ইত্যাদি নিয়ে গঠিত।
ল্যাম্প একটি অ্যাব্রেভিয়েশন যা একটি কম্পিউটারের অপারেটিং সিস্টেমকে কভার করে। লিনাক্স, অ্যাপাচি, মাইএসকিউএল, পিএইচপি।
লিনাক্স সফটওয়্যারটির একটি অংশ যা উন্মুক্ত উৎসের ও আপনাকে নিজের অপারেটিং সিস্টেমটি সম্পূর্ণ করতে এবং লিখতে সক্ষম করে। অপারেটিং সিস্টেম ইউনিক্সের ভিত্তি ব্যবহার করে।
মেমস একটি প্রযুক্তি যা তার সবচেয়ে সাধারণ আকারে ক্ষুদ্র যান্ত্রিক এবং ইলেক্ট্রো-মেকানিক্যাল উপাদান (যেমন, ডিভাইস এবং কাঠামো) হিসাবে সংজ্ঞায়িত করা যেতে পারে যা কৌশলগুলি ব্যবহার করে তৈরি করা হয় মাইক্রো ফ্যাব্রিকেশন।
মাইক্রোসফট অফিস মাইক্রোসফট অফিস সিস্টেম মাইক্রোসফট দ্বারা তৈরি কম্পিউটার প্রোগ্রামগুলির একটি সংগ্রহ। প্রোগ্রাম সব ব্যবহারকারীর জন্য তৈরি করা হয়। হোম ব্যবহারকারীদের জন্য এবং ব্যবসায়িক ব্যবহারকারীদের জন্য সফটওয়্যারটির বিভিন্ন সংস্করণ রয়েছে।
নাসা ন্যাশনাল অ্যারোনটিক্স অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন।
ই এম এর নির্মাতারা যারা নিজের নামে এবং ব্র্যান্ডিংয়ের অধীনে অন্য সংস্থার পণ্য পুনরায় বিক্রয় করে।
ওপেন অফিস একটি উন্মুক্ত উৎসের অফিস প্রোডাক্টিভিটি স্যুট। সফটওয়্যার মাইক্রোসফট উইন্ডোজ, অ্যাপল ম্যাকস এবং লিনাক্স সহ সমস্ত প্রধান অপারেটিং সিস্টেমের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
উন্মুক্ত উৎসের এমন সফটওয়্যার নির্দেশ করা যার জন্য মূল উত্স কোডটি বিনামূল্যে উপলব্ধ করা হয়েছে এবং পুনরায় বিতরণ এবং সংশোধন করা যেতে পারে।
মেরুকরণ সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে (একটি ট্রান্সভার্স তরঙ্গ, বিশেষত আলো) এর কম্পনকে এক দিকে সীমাবদ্ধ করুন।
গোপনীয়তা এমন একটি রাষ্ট্র যেখানে কেউ অন্য লোকেদের দ্বারা পর্যবেক্ষণ বা বিরক্ত হয় না।
মালিকানা সফটওয়্যার যা কোনও ব্যক্তি বা সংস্থার মালিকানাধীন (সাধারণত এটি বিকাশকারী)। এর ব্যবহারের উপর প্রায় সর্বদা বড় বিধিনিষেধ রয়েছে এবং এর উত্স কোডটি প্রায় সর্বদা গোপন রাখা হয়।
সার্ভার একটি কম্পিউটার বা কম্পিউটার প্রোগ্রাম যা একটি নেটওয়ার্কে একটি কেন্দ্রীভূত সম্পদ বা পরিষেবা প্রাপ্যতা পরিচালনা করে।
সফটওয়্যার একটি কম্পিউটার দ্বারা ব্যবহৃত প্রোগ্রাম এবং অন্যান্য অপারেটিং তথ্য।
সিস্টেম একটি প্রক্রিয়া বা একটি আন্তঃসংযোগকারী নেটওয়ার্কের অংশ হিসাবে একসাথে কাজ করা জিনিসগুলির একটি সেট; একটি জটিল সমগ্র।
টেলিটেক্সট পাঠ্য এবং গ্রাফিক্স আকারে একটি সংবাদ এবং তথ্য পরিষেবা, উপযুক্ত রিসিভার সহ টেলিভিশনগুলিতে বিদ্যমান টেলিভিশন চ্যানেলগুলির অতিরিক্ত ক্ষমতা ব্যবহার করে প্রেরণ করা হয়।
kimkou4483vn6qsupusqjm4un2gk0ef
85817
85816
2025-07-08T04:30:39Z
MS Sakib
6561
85817
wikitext
text/x-wiki
= উন্মুক্ত উৎসের ও মালিকানাধীন প্রযুক্তি =
== ভূমিকা ==
[[সবকিছুর জন্যেই ইন্টারনেট?|"সবকিছুর জন্যেই ইন্টারনেট?"]] উইকিবইয়ের এই অধ্যায়ে উন্মুক্ত উৎসের ও মালিকানাধীন প্রযুক্তির মূল ধারণাগুলো অন্বেষণ করা হবে। ১৯৭০-এর দশকে শুরু হওয়া এই দুই ধরণের সফটওয়্যারের ঐতিহাসিক বিকাশ তাদের স্রষ্টা, অবদানকারী এবং তৈরি প্রযুক্তিগত পণ্যের সূত্রের সঙ্গে পরীক্ষা করা হবে। ১৯৮০ এবং ১৯৯০ এর দশকে উন্নয়ন অব্যাহত থাকার সাথে সাথে [[হ্যাকার সংস্কৃতি|'হ্যাকারদের']] ব্যাপকতা এবং গুরুত্ব আরও প্রাসঙ্গিক হয়ে ওঠে। বিষয়কে ঘিরে নৈতিক যুক্তিগুলোও তাই। এই অধ্যায়ে দুটি বিপরীতমুখী সফটওয়্যারের পরিপ্রেক্ষিতে মেধাস্বত্ব বা [[w:মেধাস্বত্ব|কপিরাইট]] এবং [[w:ক্রিয়েটিভ কমন্স লাইসেন্স|ক্রিয়েটিভ কমন্সের]] ধারণাগুলোও বিশ্লেষণ করা হবে। দুটি ভিন্ন সফটওয়্যারের গভীর বিশ্লেষণের মাধ্যমে তাদের ক্ষমতার সুবিধা-অসুবিধা সম্পর্কে আলোচনা করা হবে। উন্মুক্ত উৎসের ও মালিকানাধীন সফটওয়্যারের এই ভিত্তিগত গবেষণা ব্যবহার করে এই অধ্যায়টি দুটি সফটওয়্যারের সমসাময়িক উদাহরণ, তাদের অ্যাপ্লিকেশন এবং একই সাথে একাধিক প্ল্যাটফর্মে কাজ করার ক্ষেত্রে তাদের কার্যকারিতা সম্পর্কিত বিতর্কগুলো পর্যালোচনা করা হবে।
== উন্মুক্ত ও মালিকানাধীন সফটওয়্যারের ইতিহাস ==
একজন লেখক এবং লেখকত্বের সারমর্ম হোমার প্রবর্তন করেছিলেন। আগেকার গল্পগুলো মুখে মুখে বলে পরিবেশিত হত। ফলে মূল দুটি গল্প কখনও হুবুহু এক হতো না। "বার্ড"দের পরিবেশিত এসব গল্পে উন্মুক্ত বাক্যাংশ ব্যবহার করে একটি গল্পের ভিত্তি তৈরি করা হতো। তবে প্রতি দুইটি গল্প একই হতো কিনা, তা এখানে নিশ্চিত করা হতো না।
হোমারই প্রথম ব্যক্তি যিনি কাগজে কলম লাগিয়ে (অর্থাৎ হাতে লিখে) একটি প্রতিলিপি তৈরি করেছিলেন। এর একটি প্রধান উদাহরণ হলো '[[w:ওডিসি|দ্য ওডিসি]]'। এই নতুন ধারণাটি চালু হওয়ার সাথে সাথে হোমার একটি কাল্পনিক জগতকে বৈধতা দিয়েছিলেন। একজন লেখক হওয়ার সাথে সাথেই লেখা বিতরণের চারপাশে একটি সৃজনশীল শিল্প শুরু হয়। লেখার পিছনে কেন আমাদের প্রক্রিয়া আছে এবং কীভাবে সেগুলো কাজ করে এবং বিতরণ করা হয়, সে সম্পর্কে লেখকরা গুরুত্বপূর্ণ। হোমার কপিরাইট আইন ও রয়্যালটির ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।
হোমার প্রতিলিপি লেখার আদর্শ প্রবর্তন করার পর এটি স্পষ্ট হয়ে ওঠে। রখন লেখার কপি ছিল সীমিত। কারণ প্রতিটি কপি হাতে লিখতে হতো। প্রায়ই এসব তৈরি করতে কয়েক মাস পর্যন্ত সময় লাগত। এরপর গুটেনবার্গ ১৫০০ সালের দিকে প্রথম ছাপাখানা চালু করেন। এর ফলে কপি করা দ্রুততর হয় এবং লেখকদের পাঠক সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। শেক্সপিয়র মূলত এভাবেই খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। কারণ তিনি দ্রুত ধারাবাহিকভাবে প্রচুর প্রতিলিপি তৈরি করতে সক্ষম হয়েছিলেন। তবে আধুনিক সমাজে আমরা এই যুগান্তকারী আবিষ্কারটিকে হালকাভাবে নিই। কারণ আমরা কোনও দ্বিধা ছাড়াই মূল মালিককে এর রয়্যালটি বা স্বীকৃতি না দিয়েই কোনও কাজের অনুলিপি তৈরি করতে পারি।
বিভিন্ন প্রতিলিপি প্রাপ্যতা করার দ্রুততার কারণে একটি রেজিস্টার বাস্তবায়ন করা হয়েছিল, যাতে কেবলমাত্র নির্দিষ্ট কিছু প্রত্যয়িত ছাপাখানাগুলোকে কেবল নির্দিষ্ট প্রতিলিপি মুদ্রণের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। তাদের একটি নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে মুদ্রণের অনুমতিপ্রাপ্ত সংখ্যার উপরও একটি সীমা ছিল। লেখক যাতে তাদের শ্রেষ্ঠ রচনাগুলোর জন্য খ্যাতি ও বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করতে পারেন, সেজন্য এটি চালু করা হয়েছিল। স্পষ্টতই এটি ১৫০০ এর দশকের পাশাপাশি এর পরেও ব্যবহৃত হয়েছিল। আজকের আধুনিক যুগে আমরা লেখকত্ব এবং রয়্যালটি সমর্থন করার জন্য ক্রমাগত কপিরাইট আইন প্রয়োগ করছি।
=== <u>১৯৮০ সালের পূর্ববর্তী</u> ===
==== ইউনিক্স ====
বলা হয় [http://www.unix.org/ ইউনিক্স] হলো কম্পিউটিংয়ের প্রযুক্তিগত অগ্রগতির সূচনা। ১৯৭০-এর দশকের গোড়ার দিকে এটি ছিল সি প্রোগ্রামিং ভাষায় লেখা প্রথম অপারেটিং সিস্টেম। এর মূল স্রষ্টা কেন থম্পসন এবং ডেনিস রিচি ছিলেন বলে বিশ্বাস করা হয়।<ref>http://www.unix.org/what_is_unix/history_timeline.html</ref> এটি ছিল প্রথম উন্মুক্ত উৎসের অপারেটিং সিস্টেম যা যে কেউ বিনামূল্যে যোগ করতে, উন্নত করতে এবং উন্নত করতে পারত।<ref>http://www.unix.org/what_is_unix.html</ref> লিনাক্স সহ এখন পর্যন্ত বেশিরভাগ অপারেটিং সিস্টেমের ভিত্তি ইউনিক্স।
=== <u>১৯৮০–১৯৮৯</u> ===
==== ইউজনেট ====
উন্মুক্ত উৎসের ও মালিকানাধীন প্রযুক্তির সূচনা ১৯৮০ এর দশকের আগেই শুরু হয়েছিল। কিন্তু এই সময়ের আগে খুব বেশি কিছু সহজলভ্য ছিল না। কারণ ১৯৮০ সালের আগে [https://en.usenet.nl/ ইউজনেটের] আগমন ঘটেনি। বিশ্বব্যাপী ভাগাভাগি এবং সহযোগিতার প্রথম উপায় ছিল ইউজনেট। ইউজনেট প্রকাশের সাথে সাথে এটি উন্মুক্ত উৎসের তথ্য ভাগাভাগি এবং ফাইল ভাগাভাগি উভয়েরই সূচনা করে।
==== গ্নু প্রকল্প/মুক্ত সফটওয়্যার আন্দোলন ====
উন্মুক্ত উৎসের ও মালিকানাধীন সফটওয়্যারের পরবর্তী ঐতিহাসিক মুহূর্ত ছিল রিচার্ড স্টলম্যানের দ্বারা গ্নু প্রকল্পের ভূমিকা। [https://www.gnu.org/ গ্নু] হলো ব্যবহারকারীদের স্বাধীনতাকে সম্মান করার আরেকটি অপারেটিং সিস্টেম প্রকল্প। বিভিন্ন উন্মুক্ত উৎসের প্রোগ্রাম দ্বারা এটি করা হয়েছে। অর্থাৎ গ্নু সফটওয়্যার নিজেই তৈরি করে না। গ্নু যখন তৈরি হয়, তখন [http://www.gnu.org/philosophy/free-software-intro.en.html "মুক্ত সফটওয়্যার আন্দোলন"] শুরু হয়েছিল। মুক্ত সফটওয়্যার আন্দোলনের ধারণা হলো কম্পিউটার ব্যবহারকারীদের একটি সম্প্রদায় গঠনের স্বাধীনতা।
==== ৩৮৬বিএসডি ====
১৯৮০-এর দশকের শেষের দিকে [http://www.386bsd.org/ 386বিএসডি-এর] কাজ শুরু হয়। ৩৮৬বিএসডি "জোলিক্স" নামেও পরিচিত। এটি ইউনিক্স থেকে আসা আরেকটি বিনামূল্যের অপারেটিং সিস্টেম। এটি ঐতিহাসিক মুহূর্তগুলোর আরেকটি অগ্রগতি কারণ এটি পরবর্তীতে ফ্রিবিএসডি এবং নেটবিএসডি-এর দিকে পরিচালিত করে।
=== <u>১৯৯০-১৯৯৯</u> ===
==== লিনাক্স ====
এই দশকটি উন্মুক্ত উৎসের ও মালিকানাধীন সফটওয়্যারকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করেছে। অগ্রগতির পাশাপাশি ১৯৯১ সালে লিনাস টরভাল্ডস লিনাক্স তৈরির সিদ্ধান্ত নেন। এটি গ্নু অপারেটিং সিস্টেমের উপর অগ্রসর হয়, যাতে একটি সম্পূর্ণ বিনামূল্যের এবং উন্মুক্ত উৎসের অপারেটিং সিস্টেম প্রদান করা যায়। লিনাক্সের প্রতিষ্ঠাতা ইউনিক্সের নিজস্ব সংস্করণ তৈরি করেছিলেন। তিনি নিজের অপারেটিং সিস্টেম তৈরি করতে চেয়েছিলেন। তবে আপনি হয়তো কল্পনা করতে পারবেন না, ১ কোটি লাইন কোড লিখতে কতটা সময় লাগবে/ তাই তিনি ইন্টারনেটে তার দৃষ্টিভঙ্গি ভাগ করে নেন। ফলস্বরূপ অনেক কম্পিউটার উৎসাহী এতে যোগ দেন। মূলত এটি ছিল একটি কম্পিউটিং সিস্টেম, যা যে কেউ তৈরি ও ব্যবহার করতে সক্ষম। অপারেটিং সিস্টেমটিকে একই সাথে বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম ও মাল্টিমিডিয়ামে সংহত করা একটি চ্যালেঞ্জ ছিল। তবে একবার কার্নেল, অপারেটিং সিস্টেমের ভিত্তি তৈরি হয়ে গেলে বাকিগুলো পালাক্রমে অনুসরণ করা হয়।
==== লাল টুপি বা রেড হ্যাট ====
১৯৯৩ সালে [https://www.redhat.com/en/open-source রেড হ্যাটের] প্রতিষ্ঠা ঘটে। রেড হ্যাট একটি লিনাক্স ডিস্ট্রিবিউশন ভিত্তিক কোম্পানি। এটি প্রমাণ করে যে উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যার অত্যন্ত লাভজনক হতে পারে। তারা তাদের নীতিবাক্য পূরণ করার চেষ্টা করে:<div align="center">
<small>"প্রতিটি সমাধান শুরু হয় সমস্যা ভাগ করে নেওয়ার মাধ্যমে। প্রযুক্তি উন্মুক্তভাবে সমৃদ্ধ হয়, যেখানে মানুষ তাদের ধারণা ভাগ করে নেওয়ার এবং অন্যদের কাজের উপর ভিত্তি করে গড়ে তোলার জন্য স্বাধীন।"</small>
<small>"সৃষ্টি সর্বদা সহযোগিতার একটি কাজ" </small>
</div>
==== MySQL/Java 1.0 ====
১৯৯৫ সালে [https://www.mysql.com/ মাইএসকিউএল] এবং প্রথম [https://java.com/en/ জাভা] সোর্স প্রোগ্রামিং ভাষা উভয়ই প্রকাশিত হয়েছিল। মাইএসকিউএল হলো একটি ওপেন-সোর্স রিলেশনাল ডাটাবেস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম। এটি ISAM ভাষার উপর ভিত্তি করে তৈরি। জাভা ১.০ এর প্রথম পাবলিক রিলিজটিও ১৯৯৫ সালে [https://www.oracle.com/sun/index.html?PHPSESSID=8fd76773d26875481e097a4a27c7a6a1 সান মাইক্রোসিস্টেমস] দ্বারা প্রকাশিত হয়েছিল। ২০০৬ সালে OpenJDK চালু হওয়ার পর সান মাইক্রোসিস্টেম সমস্ত জাভা প্যাকেজ উন্মুক্ত উৎসের প্রোগ্রাম তৈরি করে।<div align="center">
<small>জাভা ১.০ প্রতিশ্রুতি দিয়েছে "একবার লিখুন, যেকোনো জায়গায় চালান</small>
</div>
==== অ্যাপাচি ====
পরবর্তীতে দশকের শেষের দিকে আমরা [https://httpd.apache.org/ অ্যাপাচি প্রকাশের মাধ্যমে আরও অগ্রগতি দেখতে পাই।] অগ্রগতি স্থবির হয়ে পড়ার পর NCSA HTTPd সার্ভারগুলোতে সম্প্রসারণের প্রয়াসে অ্যাপাচি-র উপর ভিত্তি তৈরি করা হয়েছিল অ্যাপাচি হলো একটি অবাধে উপলব্ধ ওয়েব সার্ভার। এটি একটি উন্মুক্ত উৎসের লাইসেন্সের অধীনে বিতরণ করা হয়।
==== নেটস্কেপ ====
১৯৯৮ সালে [http://isp.netscape.com/ নেটস্কেপ] তাদের ওয়েব ব্রাউজার উন্মুক্ত উৎসের করে দেয়। মজিলা হলোনেটস্কেপের তৈরি একটি মুক্ত সফটওয়্যার সম্প্রদায়। এটি উন্মুক্ত উৎসের হওয়ার ফলে ব্যবহারকারীরা পণ্যটি ব্যবহার, বিকাশ এবং প্রসারের সুযোগ পান। <ref>https://www.mozilla.org/en-GB/</ref> এরপর মজিলা [https://www.mozilla.org/en-GB/about/ মজিলা ফায়ারফক্স] তৈরি করে।এটি আজও একটি সুপরিচিত ওয়েব ব্রাউজার।
==== ল্যাম্প ====
LAMP এর বেশিরভাগ ধারণা নিম্নরূপ।
<u>(L) লিনাক্স -</u> অপারেটিং সিস্টেম যা পুরো প্রক্রিয়াটিকে সমর্থন করে।
<u>(A) অ্যাপাচি</u> - অ্যাপাচি হলো একটি ওয়েব সার্ভার। এটি আপনাকে আপনার প্রয়োজনীয় তথ্য অর্জনের জন্য সিস্টেমের সাথে কীভাবে যোগাযোগ করতে হবে তা বলে। এটি একটি গ্রাফিক্যাল ইউজার ইন্টারফেসের (GUI) অনুরূপ। এটি সার্ভারগুলোকে একে অপরের সাথে কীভাবে ইন্টারঅ্যাক্ট করতে হয় তাও বলে।
<u>MySQL</u> বা মাইএসকিউএল হলো ডাটাবেজ। এখানেই সমস্ত তথ্য সংরক্ষণ করা হয় এবং ব্যবহারকারীর কাছে উপস্থাপন করার জন্য পুনরুদ্ধার করা হয়।
<u>PHP</u> - পিএইচপি হলো ব্যবহারকারীর কাছে সিস্টেমের সামগ্রিক সরবরাহ/ যেমন একটি মনিটর, স্পিকার এবং VDU। এটি ব্যবহারকারীকে সামগ্রিক অভিজ্ঞতা প্রদান করে।
কম্পিউটার ব্যবহারের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সবকিছুই উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যারের মাধ্যমে করা হয়।
=== <u>২০০০-২০১০</u> ===
==== ওপেনঅফিস ====
২০০০-এর দশকেও উন্মুক্ত উৎসের ও মালিকানাধীন সফটওয়্যারের অগ্রগতি অসাধারণ ছিল। ২০০১ সালে ওপেনঅফিস প্রথম প্রকাশিত হয়। এটি পরবর্তীতে [https://www.openoffice.org/ অ্যাপাচি ওপেনঅফিস], [https://www.libreoffice.org/ লিব্রেঅফিস] এবং ওরাকল ওপেনঅফিসে (এটিই একমাত্র ক্লোজড সোর্স যা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল) শাখাভুক্ত হয়। ওপেনঅফিস ছিল একটি উন্মুক্ত উৎসের অফিস স্যুট প্রোগ্রাম। এটি মাইক্রোসফট অফিসের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে।
==== উবুন্টু ====
২০০৪ সালের মধ্যেই ডেবিয়ান-ভিত্তিক লিনাক্স ডিস্ট্রিবিউশন [http://www.ubuntu.com/ উবুন্টু] মুক্তি পায়। "উবুন্টু একটি উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যার প্ল্যাটফর্ম। এটি স্মার্টফোন, ট্যাবলেট এবং পিসি থেকে শুরু করে সার্ভার এবং ক্লাউড সর্বত্র চলে।" উবুন্টুর লোগো প্রতীকটি "বন্ধুদের বৃত্ত" প্রতিনিধিত্ব করে। এটি উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যারের সাথে সহযোগিতা প্রদর্শন করে। এটি একটি অত্যন্ত ঐতিহাসিক মুহূর্ত। কারণ এখন উবুন্টুর ২৪টিরও বেশি অফিসিয়াল রিলিজ থাকার পাশাপাশি অনেক অনানুষ্ঠানিক ভার্সনও রয়েছে।
==== গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ ====
এই আলোচনায় চারজন প্রভাবশালী কম্পিউটিং প্রতিভার কথা উল্লেখ করাও গুরুত্বপূর্ণ। তারা তাদের আবিষ্কারের মাধ্যমে পুরো বিশ্বকে মুগ্ধ করেছিলেন। ১৯৪৫ সালে স্নায়ুযুদ্ধের প্রাক্কালে <u>বুশ</u> মাইক্রো ফিল্ম ব্যবহার করে প্রথম কম্পিউটার চালু করেন। তিনি বিশ্বাস করতেন, সকলেরই বিশ্ব জ্ঞানে প্রবেশাধিকার থাকা উচিত। এটি ছিল একটি অত্যন্ত কাল্পনিক পদ্ধতি। বুশ আর্থিক মূল্যের জন্য এই ক্ষেত্রটি অনুসরণ করেননি। বরং তিনি বিশ্বাস করতেন, প্রত্যেকেরই তথ্যের প্রাপ্যযোগ্যতা থাকা উচিত।<br/> এনিগমায় কাজ করার জন্য কুখ্যাত <u>টুরিং</u> এমন একটি যন্ত্র তৈরি করেছিলেন, যা যেকোনো কিছু গণনা করতে সক্ষম ছিল। এর মাধ্যমে তথ্য ইনপুট করার এবং দ্রুত ধারাবাহিকভাবে কম্পিউটিং কোডের মাধ্যমে যন্ত্রের বোধগম্য ভাষাতে রূপান্তর করার সুযোগ পাওয়া যায়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় টুরিং সরকারি কোড এবং সাইবার স্কুলে কাজ করেছিলেন। টুরিংকে একটি দল বরাদ্দ করা হয়েছিল। সেখানে তিনি জার্মান নৌ ক্রিপ্ট বিশ্লেষণের দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন। <u>এঙ্গেলবার্ট</u> যুক্তরাজ্যের অন্ধকার প্রধান প্রতিরক্ষার জন্য কাজ করেছিলেন। তিনি দৈত্যদের কাঁধে দাঁড়ানোর উপর বিশ্বাস করতেন। তিনি বুশ ও টুরিংয়ের তৈরি পূর্ববর্তী কাজগুলো ব্যবহার করতেন। রিনি অনেক দুর্দান্ত জিনিস অর্জনের জন্য এটিকে প্রসারিত করেছিলেন। সকল ডেমোর জননী ১৯৬৯। তবে অন্য তিনজনের তুলনায় <u>নেলসন</u> ছিলেন খুবই রহস্যময়। নেলসন হাইপারটেক্সট, HTTP এবং মূলত ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব (www) তৈরিতে সহায়তা করেছিলেন। তিনি জানাডু নামে পরিচিত একটি প্রোগ্রামও তৈরি করেছিলেন। ধারণা করা হয়েছিল এটি ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবের চেয়ে বেশি দক্ষ হবে। তবে আগের তিনজনের বিপরীতে নেলসন এই ধারণাটি পেটেন্ট করে ফ্র্যাঞ্চাইজির মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে চেয়েছিলেন। দুর্ভাগ্যবশত নেলসনের ক্ষেত্রে এটি কাজ করেনি। তাইবশীঘ্রই ধারণাটি ব্যর্থ হয়ে যায়। এই সংক্ষিপ্ত ইতিহাস জুড়ে একটি মূল বিষয়বস্তু হলো সামরিক বাহিনীর সাথে সম্পর্ক ও যোগাযোগ। যদি সামরিক বাহিনী এবং সম্ভবত বিশ্বযুদ্ধ না থাকত, তাহলে আমরা আজ উন্নয়নের ডিজিটাল জগতে যেখানে আছি সেখানে হয়তো থাকতাম না। এমনকি আইপি ইন্টারনেট প্রোটোকলও সামরিক বাহিনী থেকেই এসেছে। তবে একটি বিষয় নিশ্চিত, ডিজিটাল প্রযুক্তি আসলে খুবই রাজনৈতিক।
== হ্যাকার নীতি ==
=== হ্যাকারের বিবর্তন: অতীত ও বর্তমান ===
"হ্যাকার" শব্দটির সাধারণ অর্থ বিভিন্ন প্রজন্মের কাছে ভিন্ন ভিন্ন। লেভি (১৯৬৮) বলেছেন, কম্পিউটার বিজ্ঞান জগতের লোকেরা "এই শব্দটিকে উপহাসের একটি রূপ হিসেবে ব্যবহার করত। এর অর্থ হ্যাকাররা হয় অলস সামাজিকভাবে বহিষ্কৃত অথবা "অপেশাদার" প্রোগ্রামার, যারা নোংরা "অমানবিক" কম্পিউটার কোড লিখেছিল"।<ref>Levy, Steven. 1986 ''Hackers: - Heroes of the Computer Revolution''</ref> লেভি হ্যাকার কী তা বর্ণনা করেছেন। তার তুলনায় ডগলাস (২০০২) হ্যাকারদের বর্ণনা করেছেন, "একটি সংস্কৃতি হিসেবে, (হ্যাকার হলো) কম্পিউটার উৎসাহীদের একটি দল, যারা এমন একটি ক্ষেত্র ও পদ্ধতিতে কাজ করে যা সঠিকভাবে কীভাবে কাজ করে তা জানার জন্য সীমাহীন কৌতূহলের অনুভূতি দ্বারা সংজ্ঞায়িত করা যেতে পারে। তবে এই জ্ঞানকে আরও বিস্তৃত সাংস্কৃতিক ধারণা দ্বারা সংজ্ঞায়িত করা হয়"। <ref>Levy, Steven. 1986 ''Hackers: - Heroes of the Computer Revolution''</ref> আবার দুটি ভিন্ন প্রজন্ম হ্যাকার কী তা বিশ্বাস করে তার দুটি ভিন্ন সংজ্ঞা দেয়। হ্যাকিংয়ের এই ইতিহাসটি একটি জটিল কিন্তু আকর্ষণীয় ক্ষেত্র। কারণ একবিংশ শতাব্দীতে আমরা হ্যাকিংকে একটি অপরাধ হিসেবে জানি। কিন্তু আজকের বিশ্বে অগ্রগতির জন্যেই এটি ব্যবহার করা হয়েছিল। আবার লেভি (২০১৬) উদ্ধৃত করেছেন, "এটি ছিল ভাগাভাগি, উন্মুক্ততা, [[বিকেন্দ্রীকরণ]] এবং যেকোনো মূল্যে মেশিনের উন্নতি এবং বিশ্বকে উন্নত করার জন্য মেশিন হাতে পাওয়ার একটি দর্শন"। এই দর্শন বা নীতিশাস্ত্র তাদের সংস্কৃতির জন্য উপহার ছিল; এমন কিছু যা আমাদের মধ্যে যাদের কম্পিউটারে মোটেও আগ্রহ নেই তাদের জন্যও মূল্যবান। হ্যাকিংয়ের বিবর্তন দেখতে পাওয়া যায় যদি কেউ হ্যাকিংয়ের এই গতিবিধিটি অধ্যয়ন করে। এটি বর্তমানে "অজ্ঞাত" নামে পরিচিত। কারণ এই আন্দোলনটি শুরু হয়েছিল সহজ ট্রোলিং, অপ্রীতিকর উপাদান ভাগ করে নেওয়া এবং [[ফোরচান|4chan]] ওয়েবসাইটে "মিমস" এর মতো অদ্ভুত নতুন ইন্টারনেট অভিব্যক্তি তৈরির মাধ্যমে। হ্যাকাররা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির এই পটভূমি থেকে এসেছে বলে এটিকে তারা "হ্যাকটিভিজম"-এ (হ্যাকিং+অ্যাকটিভিজম) রূপান্তরিত করেছে। এটি কোনও উদ্দেশ্যকে সমর্থন, অসম্মান বা ব্যাহত করার সরাসরি উদ্দেশ্য নিয়ে হ্যাকিং করাকে বুঝায়। তবে এটি হবে "অজ্ঞাত" ভাবে। এগুলো হ্যাকিং বিবর্তনের একটি সহজ ফসল। হ্যাকারদের অনেকেই ইতিবাচক হিসেবে দেখার মতো কাজ করেছে, যেমন [[কু ক্লাক্স ক্লান|কু ক্লাক্স ক্ল্যানের]] সদস্যদের উন্মোচন করা।
=== সৃজনশীল বনাম অপরাধী ===
কম্পিউটারের প্রাথমিক যুগের সাথে সাথে উন্নতির জন্য সর্বদাই জায়গা ছিল। প্রতি বছর বিভিন্ন হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যার দিয়ে কম্পিউটার আপগ্রেড করা হচ্ছে। এক অর্থে হ্যাকাররা সবসময়ই বোঝাপড়ার জন্য চেষ্টা করত। কিন্তু এগিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে তারা সফটওয়্যারও আপগ্রেড করছিল। অ্যালবার্টস এবং ওল্ডেনজিয়েল (২০১৪) এর বর্ণনা অনুযায়ী হ্যাকার ছিলেন একজন ব্যক্তি "যিনি ইচ্ছাকৃতভাবে বাইরের ব্যক্তির ভূমিকা বেছে নেন, জটিলতাগুলো আয়ত্ত করতে হয়, তালা ভাঙতে হয় এবং বহিষ্কারকে অনুপ্রবেশের মাধ্যমে মোকাবেলা করতে হয়"। তারা আরও ব্যাখ্যা করে, হ্যাকাররা "কোনও ক্ষতি না করার জন্য" অনুপ্রবেশের একটি ছাপ রেখে যেতে চেয়েছিল। বিশ্বজুড়ে হ্যাকার সংস্কৃতিকে ভিন্নভাবে দেখা হয়। অনেক দেশ এই সংস্কৃতিকে বিভিন্ন রূপে ব্যবহার করে। উদাহরণস্বরূপ, যুগোস্লাভ কিশোর-কিশোরী এবং ছাত্ররা পার্টি ও সঙ্গীতের উপসংস্কৃতির অংশ হিসেবে কম্পিউটার "ঝাঁকুনি" দিত। অন্যদিকে ফিনিশ গণতন্ত্রগুলো এটিকে "উদীয়মান প্রোগ্রামারদের তাদের কাজ দেখানোর জন্য" "অনুষ্ঠানের আচার" হিসেবে ব্যবহার করত। অন্যদিকে [[Wau holland|"ওয়াউ হল্যান্ড"]] নামে একজন জার্মান হ্যাকারের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক কার্যকলাপের অভিযোগ আনা হয়েছিল। এর মাধ্যমে তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে একটি ব্যাংকের নিরাপত্তা ত্রুটিগুলো দেখানোর জন্য হ্যাক করেছিলেন। তারা যে সিস্টেমটি হ্যাক করছিল তা ছিল একটি নতুন সিস্টেম যা ব্যাংকটি একটি ইন্টারেক্টিভ টেলিটেক্সট সিস্টেম ( [[Btx (form factor)|Btx]] ) স্থাপন করেছিল। এর প্রধান নিরাপত্তা ত্রুটি ছিল। হ্যাকাররা পাসওয়ার্ডগুলো হেরফের করতে এবং ট্র্যাক করতে সক্ষম হয়েছিল। এই কাজ করে হল্যান্ড এবং তার সহযোগী এক রাতে তাদের অ্যাকাউন্টে €১৩৫,০০০ ট্রান্সফার করতে সক্ষম হন। তাদের ব্যাংক হ্যাক করার চার বছর পর ওয়ার্নারিকে আরও কম্পিউটার অপরাধের জন্য ফ্রান্সে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। ১৯৮৬/৮৭ সালে [[নাসা|নাসার]] মতো সরকারি কর্তৃপক্ষ এবং গবেষণা সংস্থাগুলোর ব্যবহৃত VAX কম্পিউটারগুলোতে একটি বাগ আবিষ্কার করে হ্যাকাররা এই কম্পিউটারগুলোতে প্রাপ্যতা পেতে সক্ষম হয়। এরপর তার বিরুদ্ধে ১০০টি কম্পিউটার থেকে ডেটা প্রাপ্যতা, কপি এবং ধ্বংস করার অভিযোগ আনা হয়। হ্যাকিং জগতের অপরাধমূলক দিকের আরেকটি উদাহরণ হতে পারে ১৯৯০ সালের AT&amp;T-এর দূরপাল্লার টেলিফোন সুইচিং সিস্টেমটি ক্র্যাশ করার ঘটনা। স্টার্লিং (১৯৯৪) ব্যাখ্যা করেছেন, এই দুর্ঘটনার সময় ৬০,০০০ মানুষ নয় ঘন্টার জন্য টেলিফোন পরিষেবা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল। এটি শুরু হয়েছিল কারণ ম্যানহাটনের একটি সুইচিং-স্টেশন AT&T-এর নিজস্ব সিস্টেমে পাওয়া একটি বাগের কারণে ক্র্যাশ হয়ে গিয়েছিল।
=== কম্পিউটার/হ্যাকিং নীতিশাস্ত্রের গঠন ===
হ্যাকিংয়ের ক্ষেত্রে আমরা জানি যে মানুষ বিভিন্ন কারণে এটি করে। ভালো হোক বা খারাপ, তুলনা করার মতো কোনও মধ্যম ক্ষেত্র নেই। টেলর (১৯৯৯:১৩৬) যা বর্ণনা করেছেন যে "হ্যাকিংয়ের নৈতিক জটিলতার মুখোমুখি হলে, তারা এবং আমাদের পরিস্থিতির মেরুকৃত অবস্থানের মধ্যে থাকা নৈতিক নিশ্চিততাগুলো গ্রহণ করার প্রলোভন দেখা দেয়"। গত দশকে প্রযুক্তির অগ্রগতির সাথে সাথে, এটি হ্যাকিং প্রজন্মকে তাদের নিজস্ব জ্ঞান, নতুন হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যার উন্নত করার জন্য বিভিন্ন খেলার মাঠ উপহার দিয়েছে। হ্যাকিং সম্ভব করার অন্যতম প্রধান কারণ হলো গোপনীয়তার সমসাময়িক সংস্কৃতি যা সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং অর্থনৈতিক মিথস্ক্রিয়ার একটি বৃহৎ অংশকে নিয়ন্ত্রণ করে। গোপনীয়তার কারণে হ্যাকাররা বিচ্ছিন্ন বোধ করে। কিন্তু সুবিধাও পায়। আমরা জানি হ্যাকাররা গোপনীয়তার বিরোধিতা করে, তারা নিজেদের বিরোধিতা করে, তারা যে পদ্ধতি বা পদ্ধতিটি পরিচালনা করে তা কাজে লাগিয়ে, প্রযুক্তি এবং সমসাময়িক সংস্কৃতির সাথে তাদের অবস্থানকে জটিল করে তোলে। ডগলাস (২০০২:১১৫) ব্যাখ্যা করেন যে হ্যাকিংয়ের প্রাথমিক প্রজন্মে, ধারণা, তথ্য ভাগাভাগি করার পাশাপাশি প্রযুক্তি প্রাপ্যতাের জন্য সম্প্রদায়গুলোর উপর প্রচুর নির্ভর করা হত। ১৯৫০/৬০ এর দশকে, সম্প্রদায়গুলো এমআইটি, হার্ভার্ড, কর্নেল এবং আরও কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবগুলোকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছিল। <ref>Douglas, Thomas 2002 ''Hacking Culture''</ref>
টেলর আরও বলেন,"হ্যাকাররা এমন বাচ্চাদের মতো যারা রেললাইনে দশ পেন্সের টুকরো রেখে দেখে যে এটি বাঁকছে কিনা। কিন্তু তারা বুঝতে পারে না যে তারা পুরো ট্রেনটি রেলিং থেকে নামিয়ে দেওয়ার ঝুঁকি নিচ্ছে"। হ্যাকারদের কীভাবে উপস্থাপন করা হয় তা দেখার একটি ভালো উপায় হলো "মিস্টার রোবট"। এটি এমন একটি প্রোগ্রাম যেখানে একদল হ্যাকার একটি বহুজাতিক কর্পোরেশনকে আক্রমণ করে বিশ্বকে ঋণমুক্ত করতে বদ্ধপরিকর। টেলর (১৯৯৯) উল্লেখ করেছেন,ব্যবসায়িক নীতিশাস্ত্রের একটি গবেষণার সময়, এমন কিছু বিষয় উঠে এসেছে যা দেখায় যে শিল্পের মধ্যে নীতিগত সিদ্ধান্তগুলো আরও কঠিন এবং বয়স্ক জনগোষ্ঠীর কাছ থেকে আসার প্রবণতা রয়েছে। কম্পিউটার শিল্পের সদস্যরা সাধারণত সাধারণ হ্যাকারদের তুলনায় বয়স্ক হন এবং কম্পিউটারকে তাদের দৈনন্দিন জীবনের একটি হাতিয়ার হিসেবে দেখেন, অন্যদিকে হ্যাকাররা কম্পিউটারকে একটি শখ হিসেবে দেখেন। এই বয়সের পার্থক্য সম্ভবত একটি কারণ যার জন্য নিরাপত্তা শিল্প এবং গোপন কম্পিউটারের সদস্যদের নীতিগত দৃষ্টিভঙ্গিতে মৌলিক পার্থক্য রয়েছে।
==== 'অলিখিত আইন' ====
অনেক কম্পিউটার ভক্ত এমন একটি কাঠামো অনুসরণ করেন যাকে অনেকে হ্যাকারদের বাইবেল বলে। এটি এমন কিছু অলিখিত নিয়মে। তারা বিশ্বাস করে এভাবেই সফটওয়্যার লেখা এবং সরবরাহ করা উচিত। তারা সেই অনুযায়ী আরও উন্মুক্ত এবং উদার কিছু পরিবর্তন করতে চায়। এটি মূলত সফটওয়্যারের সহজলভ্যতা এবং এটি ব্যবহার করতে ইচ্ছুক সকলের কাছে এর সহজলভ্যতার সাথে সম্পর্কিত। সকল তথ্য বিনামূল্যে থাকা উচিত। কর্তৃপক্ষের উপর অবিশ্বাস করুন, বিকেন্দ্রীকরণকে উৎসাহিত করুন। দ্বিতীয়ত এই ধারণাটি উপস্থাপন করে যে, বিশ্বজুড়ে বা এমনকি বিভিন্ন দেশে একাধিক সার্ভার থাকা উচিত। সেগুলোতে একই তথ্য জমা থাকবে, যাতে অন্য কোনও সফটওয়্যার এবং/অথবা প্রোগ্রাম ব্যর্থ হলে আপনি সর্বদা প্রাপ্যতা পেতে পারেন। একাধিক সার্ভার থাকার ফলে বৃহত্তর শ্রোতা তৈরি হবে। এর ফলে প্রোগ্রামগুলোতে সবার প্রাপ্যতা থাকার পাশাপাশি কর্মক্ষমতাও উন্নত মানের হবে। হ্যাকারদের বিচার করা উচিত তাদের হ্যাকিং দিয়ে; কোনো ডিগ্রি, বয়স, জাতি বা পদের মতো ভুয়া মানদণ্ড দিয়ে নয়। আমি বিশ্বাস করি এটি বিশেষ করে আধুনিক যুগ এবং সমাজের সাথে গভীরভাবে সম্পর্কিত যেখানে জীবনের সকল ক্ষেত্রেই সমতার জন্য লড়াই অব্যাহত রয়েছে। বিশেষ করে আজকের ডিজিটাল জগতে এমন অনেক তরুণ আছেন যারা অসাধারণ কোডিং তৈরি করতে সক্ষম যা একটি IOS সিস্টেমের মধ্যে একত্রিত করা যেতে পারে। এগুলো বিভিন্ন মাল্টি মিডিয়ামে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে পারে। আপনি কম্পিউটারে শিল্প ও সৌন্দর্য তৈরি করতে পারেন। এটি কম্পিউটিং জগতের সকল মাত্রার জন্য দায়ী, তা ডিজিটাল শিল্প, প্রোগ্রামিং, চলচ্চিত্র নির্মাণ হোক... তালিকাটি অন্তহীন। বলা বাহুল্য, সবই শিল্পের উপাদান। এগুলোকে হালকাভাবে নেওয়া উচিত নয়। কম্পিউটার জীবনকে আরও ভালোর দিকে বদলে দেয়। প্রযুক্তি ক্রমাগত বিকশিত হচ্ছে এবং উন্নতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা এখন বধির এবং অন্ধদের জন্য এমন ব্যবস্থা তৈরি করতে সক্ষম হয়েছি যা মিথস্ক্রিয়া এবং যোগাযোগের পাশাপাশি আরও অনেক কিছুতে সহায়তা করে যা অসংখ্য ব্যক্তি এবং পরিবারকে সহায়তা করে।
== ক্রিয়েটিভ কমন্স বনাম কপিরাইট ==
=== ক্রিয়েটিভ কমন্স কী? ===
২০০১ সালে লরেন্স লেসিগ, হাল অ্যাবেলসন এবং এরিক ইল্ড্রেড অলাভজনক সংস্থা '''ক্রিয়েটিভ কমন্স (CC)''' প্রতিষ্ঠা করেন। এটি অন্যদের জন্য উপলব্ধ সৃজনশীল কাজ বাড়ানোর জন্য চেষ্টা করছে। এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা আইনগতভাবে ভিত্তি করে তৈরি করতে এবং অন্যদের সাথে ভাগ করতে পারেন। ক্রিয়েটিভ কমন্স লাইসেন্সগুলি জনসাধারণের জন্য বিনামূল্যে প্রকাশিত হয়। ক্রিয়েটিভ কমন্স সম্পর্কিত প্রথম নিবন্ধটি একটি সাধারণ আগ্রহের প্রকাশনায় হাল প্লপকিনের “All Hail Creative Commons Stanford professor and author Lawrence Lessig plans a legal insurrection” (২০০২)-এ প্রকাশিত হয়। ২০০৪ সালের নভেম্বর পর্যন্ত প্রায় ৮৮০ মিলিয়ন কাজ ক্রিয়েটিভ কমন্স লাইসেন্সের আওতায় লাইসেন্সপ্রাপ্ত।<ref>[https://creativecommons.org/licenses] , About the Licenses – Creative Commons.</ref>
'''ক্রিয়েটিভ কমন্সের বিভিন্ন দিক'''
ক্রিয়েটিভ কমন্সের অনেক ধরণের আছে, যেগুলো আপনাকে বিভিন্ন উপায়ে একটি কাজ ব্যবহার করার সুযোগ দেয়। এটি ব্যক্তির লাইসেন্সের উপর নির্ভর করে। কারণ প্রতিটি কাজের সাথে আপনি কী করতে পারবেন এবং কী করতে পারবেন না তার নিয়ম রয়েছে। নিচে কয়েকটি তালিকাভুক্ত উদাহরণ দেওয়া হলো। মূলত স্কেল শর্তাবলী প্রদান করে, আপনি বিভিন্ন উপায়ে কিছু পুনঃব্যবহার করতে পারেন, সাধারণত এটি শর্তাবলীতে বর্ণিত থাকে। এটি ছোট মুদ্রণ নামেও পরিচিত।
'''পাবলিক ডোমেইন'''
পাবলিক ডোমেইন শব্দটি এমন সৃজনশীল উপকরণগুলোকে বোঝাতে ব্যবহৃত হয় যা সম্পত্তি আইন, কপিরাইট, ট্রেডমার্ক বা পেটেন্ট আইন দ্বারা সুরক্ষিত নয়। এই কাজগুলোর মালিক 'জনসাধারণ', কোনও একক ব্যক্তি নন। পাবলিক ডোমেইন উপকরণ ব্যবহারের জন্য অনুমতির প্রয়োজন নেই কারণ কেউ কখনও উপকরণের অধিকার দাবি করতে পারে না। <ref>[http://fairuse.stanford.edu/overview/public-domain/welcome/] , Copyright & Fair Use – Stanford University Libraries.</ref>
চারটি সাধারণ সম্ভাবনা রয়েছে যা উপকরণ বা পণ্যগুলোকে পাবলিক ডোমেইন করতে পারে: <ref>[http://fairuse.stanford.edu/overview/public-domain/welcome/] , Copyright & Fair Use – Stanford University Libraries (Extended).</ref>
* কপিরাইট মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে।
* কপিরাইট মালিক কপিরাইট নবায়ন নিয়মের পদ্ধতি সঠিকভাবে অনুসরণ করেননি।
* কপিরাইট মালিক ইচ্ছাকৃতভাবে একটি উপাদান বা পণ্য পাবলিক ডোমেইনে রাখেন।
* কপিরাইট আইন এই বিশেষ ধরণের উপাদানকে রক্ষা করতে পারে না।
কপিরাইট জনসাধারণের জন্য, যাতে তারা সফটওয়্যারটি ব্যবহার করতে পারে, কাজের অংশ... ইত্যাদি, যেমনটা তারা চায়। এর অর্থ হলো তারা এটি সম্পাদনা করতে এবং তাদের ইচ্ছামতো পুনরায় ব্যবহার করতে সক্ষম। এর একটি গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ হলো ওয়াল্ট ডিজনির মিকি মাউসের সৃষ্টি। মিকি মাউসের গ্রাফিক্স এবং ধারণাটি পাবলিক ডোমেইনে রয়েছে, অর্থাৎ বিবিসির মতো অন্যান্য সংস্থাগুলো যদি ইচ্ছা করে তবে এই ধারণাটি একটি স্কেচে ব্যবহার করতে পারে। এর মানে হলো, যদিও আমরা মিকি মাউসকে একটি কার্টুন শিশু ক্লাসিক হিসেবে যুক্ত করেছি, আমরা তাকে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের একটি স্কেচে দেখতে পাচ্ছি।
=== By ===
"By" আপনাকে একটি কাজকে আপনি যেভাবে চান তেমন করে রিমিক্স, সম্পাদনা এবং বিতরণ করার অনুমতি দেয়। তবে, আপনাকে বিবেচনা করতে হবে কাজটি কোথা থেকে এসেছে এবং মূল সৃষ্টিকারীর গুরুত্বকে স্বীকৃতি দিতে হবে।
'''অ্যাট্রিবিউশন'''
CC BY Attribution অন্যদের এমন কাজ বিতরণ, সম্পাদনা এবং যোগ করার সুযোগ দেয় যা ইতিমধ্যেই তৈরি করা হয়েছে, যতক্ষণ না তারা মূল লেখককে কৃতিত্ব দেয়। মূলত এটি সবচেয়ে সুবিধাজনক লাইসেন্স। এটি আপনাকে আপনার প্রয়োজন অনুসারে নিবন্ধটি তৈরি করতে সক্ষম করে।
'''অ্যাট্রিবিউশন-শেয়ারঅ্যালাইক'''
CC BY-SA এই লাইসেন্সটি আপনাকে অ্যাট্রিবিউশন লাইসেন্সিংয়ের মতোই কাজ করার সুযোগ দেয়, তবে এটি কেবলমাত্র বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে সম্পন্ন করা হয় এবং তারা তাদের নতুন সৃষ্টিগুলোকে একই শর্তে ক্রেডিট এবং লাইসেন্স দেয়। অ্যাট্রিবিউশন- শেয়ারঅ্যালাইককে প্রায়ই 'কপিলেফট' ফ্রি এবং ওপেন সফটওয়্যার লাইসেন্স বলা হয়। উইকিপিডিয়া এই ধরণের লাইসেন্স ব্যবহার করে।
'''অ্যাট্রিবিউশন-নোডেরিভস'''
CC BY-ND এই লাইসেন্সটি বাণিজ্যিক এবং অ-বাণিজ্যিক উভয় ক্ষেত্রেই পুনর্বণ্টনের সুযোগ দেয়, যতক্ষণ না এটি অপরিবর্তিত এবং সম্পূর্ণরূপে আপনার কৃতিত্বের সাথে পাস করা হয়।
'''অ্যাট্রিবিউশন-অ-বাণিজ্যিক'''
CC BY-NC অ্যাট্রিবিউশন-শেয়ারঅ্যালাইকের অনুরূপ, এই লাইসেন্সটি আপনাকে কাজ যোগ করতে, পরিবর্তন করতে এবং নির্মাণ করতে সক্ষম করে, তবে তা বাণিজ্যিক নয় এমন পরিবেশেও। নতুন সৃষ্টিকর্মকে আপনার পরিবর্তন এবং অ-বাণিজ্যিক উপাদান স্বীকার করতে হবে, তবে এটি একই লাইসেন্সের অধীনে হতে হবে না।
'''অ্যাট্রিবিউশন-ননকমার্শিয়াল-শেয়ারঅ্যালাইক'''
CC BY-NC-SA অ্যাট্রিবিউশন-ননকমার্শিয়ালের মতো মূল পার্থক্য হলো যে আপনাকে একই শর্তে নতুন কাজের লাইসেন্স দিতে হবে।
'''অ্যাট্রিবিউশন-ননকমার্শিয়াল-নোডেরিভস'''
CC BY-NC-ND এই লাইসেন্সটি সবচেয়ে সীমাবদ্ধ, শুধুমাত্র অন্যদের আপনার কাজ ডাউনলোড করতে এবং অন্যদের সাথে শেয়ার করতে দেয় যতক্ষণ না তারা মূল লেখককে কৃতিত্ব দেয়।
'''প্রভাব'''
ব্রাউসার্ড ক্রিয়েটিভ কমন্সকে কপিলেফট আন্দোলনের অগ্রভাগে বলে বর্ণনা করেছেন। এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে "সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত" কপিরাইটের একটি বিকল্প প্রদান করার চেষ্টা করছে (২০০৭)। বিকল্পভাবে, ডেভিড বেরি ক্রিয়েটিভ কমন্সকে বুদ্ধিজীবী সম্পত্তির বিষয়টিতে আগ্রহ তৈরি করার জন্য এবং "তথ্য যুগে" "কমন্স" এর ভূমিকা পুনর্বিবেচনা করার জন্য কৃতিত্ব দেন, তিনি বলেন "ক্রিয়েটিভ কমন্সে এমন প্রতিষ্ঠানিক, ব্যবহারিক এবং আইনগত সহায়তা রয়েছে যা افراد এবং গোষ্ঠীগুলোকে সংস্কৃতি নিয়ে আরও স্বাধীনভাবে পরীক্ষাগুলো এবং যোগাযোগ করতে চায়।" (বেরি, ডি, ২০০৫)। লেস্টিগ, অন্যদিকে আধুনিক সংস্কৃতিকে ঐতিহ্যবাহী কনটেন্ট বিতরণকারীদের দ্বারা আধিপত্যে ছিল বলে বর্ণনা করেছেন, সাংস্কৃতিক পণ্য যেমন সঙ্গীত এবং সিনেমার উপর মনোপলি বজায় রাখতে বা বৃহত্তর করতে, তিনি বলেছেন "ক্রিয়েটিভ কমন্স এই বিধিনিষেধগুলোর বিকল্প দিতে পারে" (লেস্টিগ, ২০০৬)।
== উন্মুক্ত উৎসের ও মালিকানাধীন সফটওয়্যারের উদাহরণ ==
=== ইউনিক্স এবং গ্নু ===
[http://www.unix.org/ ইউনিক্স] ১৯৬৯ সালে বেল ল্যাবসে তৈরি করা হয়েছিল এবং এটি কম্পিউটিং ইতিহাসের প্রাচীনতম অপারেটিং সিস্টেমগুলোর মধ্যে একটি। এটিই সেই ভিত্তি যার উপর Mac OS X নির্মিত। এটি অনেকগুলো ভিন্ন মেশিনে চালানো যেতে পারে, এবং ইউনিক্স কম্পিউটারগুলো নেটওয়ার্কগুলোতে একসাথে কাজ করতে পারে। ইউনিক্স ছিল একটি মালিকানাধীন সিস্টেম কারণ বেল ল্যাবস কপিরাইট সুরক্ষিত রেখেছিল যাতে এটি একটি বন্ধ সিস্টেম ছিল যা ভাগ করা যেত না। একটি সিস্টেমে কাজ করার জন্য ইউনিক্স কোডটি সোর্স কোড বই থেকে ম্যানুয়ালি প্রবেশ করতে হত। এটি আজ আমাদের কাছে অত্যন্ত অদক্ষ বলে মনে হয়।
উন্মুক্ত উৎসের নেটওয়ার্কের উন্নয়নে রিচার্ড স্টলম্যান ছিলেন মৌলিক ভূমিকা পালনকারী। তিনি ইউনিক্সকে আরও ভাগ করে নেওয়ার যোগ্য উন্মুক্ত সিস্টেমে রূপান্তর করতে চেয়েছিলেন। ১৯৮৪ সালে তিনি [http://www.fsf.org/ ফ্রি সফটওয়্যার ফাউন্ডেশন] (এফএসএফ) তৈরি করেন। এফএসএফ-এর মূল লক্ষ্য ছিল সফটওয়্যারকে আরও উন্মুক্ত এবং প্রাপ্যতাযোগ্য করে তোলা, ঠিক যেমন প্রাথমিক কম্পিউটিং বুদ্ধিমত্তা এবং বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার ভাগ করে নেওয়ার উপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। স্টলম্যান গ্নু ("গ্নু is not ইউনিক্স") আবিষ্কার করেন ইউনিক্সকে নতুনভাবে পুনর্নির্মাণ করে যাতে এটি উন্মুক্ত এবং ভাগ করে নেওয়া যায়, যাতে ব্যবহারকারীরা তাদের ইচ্ছামত কোডটি মানিয়ে নিতে এবং পরিবর্তন করতে পারে। গ্নু যে কোনও সিস্টেমে চলতে সক্ষম ছিল যা ইতিমধ্যেই ইউনিক্স সমর্থন করে। স্টলম্যান গ্নু-কে একটি নতুন সিস্টেমের অধীনে লাইসেন্স দিয়েছিলেন যার নাম জেনারেল পাবলিক লাইসেন্স (জিপিএল। এটি "কপিলেফট" নামেও পরিচিত) যাতে গ্নু-কে মালিকানাধীন সফটওয়্যারে পরিণত হতে না পারে।
=== লিনাক্সের সাফল্য ===
লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেম একটি উন্মুক্ত উৎসের প্রকল্পের একটি গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ যা ক্রমশ শক্তিশালী হচ্ছে। এই প্রকল্পের সহযোগিতার সম্ভাবনাগুলো নিজেই নেটওয়ার্কের শক্তির প্রতিনিধিত্ব করে। কারণ এর প্রাথমিক পর্যায়ে যখন খুব কম অবদানকারী অংশগ্রহণ করছিলেন তখনও তাদের সারা বিশ্বে পাওয়া যেত। এই ব্যবস্থার সাফল্যের পেছনে অনেকগুলো কারণ রয়েছে, যেমন সম্পত্তির অধিকারের প্রতি বিশেষ দৃষ্টিভঙ্গি যা এর লাইসেন্স গঠন করে। লিনাক্সের [[গ্নু জেনারেল পাবলিক লাইসেন্স|জেনারেল পাবলিক লাইসেন্স]] (জিপিএল) সিস্টেমের ক্রমাগত উন্নয়নকে এর উপর ভিত্তি করে তৈরি হিসেবে স্বীকৃতি দেয়, তবে এটি পুনর্বণ্টনের সময় এর উপর কোনও বিধিনিষেধ আরোপের সুযোগ দেয় না। এটি বার্কলে সফটওয়্যার ডিস্ট্রিবিউশন (বিএসডি) লাইসেন্সের একটি বিকল্প। এটি প্রোগ্রামারদের সিস্টেম উন্নত করার জন্য একই স্বাধীনতা প্রদান করে না।
লিনাক্সের সাফল্যের আরেকটি কারণ হলো প্রকল্পের জন্য অব্যাহত, ঐক্যবদ্ধ সমর্থন। এটি প্রকল্প নেতাদের দ্বারা গৃহীত সিদ্ধান্ত এবং নিয়ম প্রত্যাখ্যান করার ঝুঁকি সম্পর্কে বোঝার কারণে। যারা প্রস্তাবিত কোড পরিবর্তন গ্রহণ করতে ব্যর্থ হন, তাদের জন্য প্রাথমিক প্রকল্প থেকে আলাদা হয়ে তাদের পরিবর্তনগুলো বাস্তবায়িত করে একটি নতুন প্রকল্প স্থাপন করার সুযোগ রয়েছে, যাকে "ফর্কিং" বলা হয়। <ref>Weber, S. (2004). ''Success of Open Source.'' Cambridge: Harvard University Press, p.64</ref> যদিও কিছু ডেভেলপার এটিকে উন্মুক্ত উৎসের প্রোগ্রামিংয়ের একটি অপরিহার্য অধিকার হিসেবে দেখেন, তবুও এই প্রক্রিয়ায় ঝুঁকি রয়েছে। লিনাক্সের ক্ষেত্রে, প্রলিফিক ফর্কিং কর্মীদের বিভক্ত করার এবং সামগ্রিক উৎপাদনশীলতা হ্রাস করার ঝুঁকি বহন করে। অধিকন্তু, আরও প্রকল্পের সাথে সাথে একটি প্রকল্পে উল্লেখযোগ্য সমস্যা দেখা দেওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। এটি প্রতিটি প্রকল্পের উপর খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে, ফর্কিংয়ের মাধ্যমে উদ্ভূত প্রকল্প থেকে শুরু করে প্রাথমিক প্রকল্প পর্যন্ত। <ref>Weber, S. (2004). ''Success of Open Source.'' Cambridge: Harvard University Press, p.159</ref> দক্ষতা এবং উৎপাদনশীলতার এই ভাঙ্গনের ফলে বেশ কয়েকটি প্রকল্প, সম্ভবত সবগুলোই ব্যর্থ হতে পারে। লিনাক্সের দীর্ঘ জীবনকাল এবং অব্যাহত, দীর্ঘমেয়াদী সহযোগিতার সম্ভাবনা উপরে উল্লিখিত ঝুঁকিগুলোর জন্য ঝুঁকি নেওয়ার প্রবণতাকে নিরুৎসাহিত করে, তাই এটি এখনও পর্যন্ত এটির অভিজ্ঞতা লাভ করেনি। <ref>Weber, S. (2004). ''Success of Open Source.'' Cambridge: Harvard University Press, p.159</ref>
উন্মুক্ত উৎসের ফরম্যাটের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সুবিধা থেকে লিনাক্সও উপকৃত হয়। ঐতিহ্যবাহী মালিকানাধীন ব্যবস্থায়, প্রত্যেকের কাছ থেকে প্রায় সমান পরিমাণে কাজের অবদান আশা করা হয়। তবে ওপেন সোর্সে, অবদানকারীদের একটি ছোট শতাংশের জন্য কাজের একটি বড় অংশ সম্পাদন করা সাধারণ, এবং বিপুল সংখ্যক অপ্রাপ্তবয়স্ক অবদানকারীদের জন্য কেবল এক বা দুটি অবদান রাখা স্বাভাবিক। তবুও, জর্ডান যুক্তি দেন যে একটি উন্মুক্ত উৎসের প্রকল্পের প্রেক্ষাপটে, একজন ব্যক্তি এমন একটি কাজ সম্পন্ন করতে পারেন যা অন্যথায় সম্পন্ন নাও হতে পারে। যদি একজন ব্যক্তি মাত্র একটি অবদানের মাধ্যমেও গ্রুপ প্রকল্পের উন্নতি করেন, তাহলে সকলেই আরও ভালো পণ্য পেয়ে উপকৃত হবেন।
পরিসংখ্যান থেকে জানা যায় যে ইন্টারনেটের ৩৬.২% ওয়েবসাইট লিনাক্স ব্যবহার করে। এরিকের মতে, লিনাক্স একটি বিকেন্দ্রীভূত উন্নয়ন পদ্ধতি [http://www.fao.org/docs/up/easypol/342/decen_dev_in_agri_012en.pdf] গ্রহণ করেছে। "ক্যাথেড্রাল অ্যান্ড দ্য বাজার" এবং অনুরূপ কাজে এস রেমন্ডের পরীক্ষা। এই পদ্ধতির ফলে অবদানকারীরা একটি সংবেদনশীলহীন সাংগঠনিক কাঠামোর মধ্যে ক্রমাগত কাজ করতে সক্ষম হন। লিনাক্সের অপারেটিং সিস্টেমের বৈশিষ্ট্যগুলোও এর সাফল্য বিশ্লেষণ করার সময় বিবেচনা করার মতো আরেকটি সম্ভাব্য কারণ। লিনাক্স এবং ইউনিক্সের মতো অন্যান্য অপারেটিং সিস্টেমের মধ্যে প্রযুক্তিগত বৈপরীত্য রয়েছে যা লিনাক্সের সাফল্য নিয়ে আলোচনা করার সময় মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ। একটি নির্দিষ্ট উৎস অনুসারে, কার্নেলের গণিত কোপ্রসেসর ব্যবহার না করেই 387-FPU নির্দেশাবলী এবং সিস্টেম অনুকরণ করার ক্ষমতা রয়েছে এবং একাধিক প্রোগ্রাম চালানোর ক্ষমতা রয়েছে যার জন্য ফ্লোট-পয়েন্ট গণিত ক্ষমতার একটি স্তর প্রয়োজন। লিনাক্স ডেটা স্টোরেজের জন্য বিভিন্ন ফাইল সিস্টেম সমর্থন করে, এবং ext2 ফাইল সিস্টেমের মতো। এটি বিশেষভাবে লিনাক্সের জন্য তৈরি করা হয়েছিল।
=== অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস ===
==== অ্যান্ড্রয়েডের উন্নয়ন ====
[[চিত্র:Android_robot.png|থাম্ব| অ্যান্ড্রয়েড লোগো]]
২০০৭ সালের ৫ নভেম্বর তারিখে গুগলের মোবাইল ফোন অপারেটিং সিস্টেম [[Android(operating system)|অ্যান্ড্রয়েড]] সর্বজনীনভাবে আত্মপ্রকাশ করে। এর বিশ্বব্যাপী প্রবর্তন [[ওপেন হ্যান্ডসেট অ্যালায়েন্স|ওপেন হ্যান্ডসেট অ্যালায়েন্সের]] সৃষ্টি এবং প্রবর্তনের সাথেও সম্পর্কিত। কোম্পানিগুলোর একটি কনসোর্টিয়াম যারা তাদের পণ্যগুলোতে নতুন তৈরি অ্যান্ড্রয়েড সফটওয়্যার প্রয়োগ করে। কনসোর্টিয়ামটি জনসমক্ষে প্রকাশিত হওয়ার সময় এর ৩৪ সদস্যের তালিকায় টি-মোবাইল, [[স্যামসাং ইলেকট্রনিক্স]], [[এইচটিসি]] এবং [[সনি|সনির]] মতো কোম্পানিগুলো অন্তর্ভুক্ত ছিল। পরবর্তী বছরগুলোতে, [[তোশিবা]], এসার এবং [[ভোডাফোন|ভোডাফোনের]] মতো কোম্পানিগুলো যোগদানের সাথে সাথে সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। <ref>http://www.cnet.com/uk/news/googles-open-handset-alliance-gains-14-new-members/</ref> এই জোটটি ছিল গুগলের অ্যান্ড্রয়েডকে একটি উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যার হিসেবে বিকাশের সিদ্ধান্তের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপজাত।
রিচ মাইনার, [[অ্যান্ডি রুবিন]] এবং নিক সিয়ার্সকে সাধারণত অ্যান্ড্রয়েডের উদ্ভাবক হিসেবে কৃতিত্ব দেওয়া হয়। <ref>http://uk.businessinsider.com/how-android-was-created-2015-3?r=US&IR=T</ref> ২০০৫ সালে গুগল কর্তৃক কেনার আগে তারা একসাথে একটি ছোট কোম্পানি, Android.inc, হিসেবে অ্যান্ড্রয়েডে কাজ করেছিল। তাদের অধিগ্রহণের পর উপলব্ধ তহবিল বৃদ্ধি এবং প্রচুর নতুন সম্পদের আধিক্য উন্নয়ন প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে। দুই বছর পর প্রথম সর্বজনীনভাবে উপলব্ধ অ্যান্ড্রয়েড সফটওয়্যার তৈরি করা হয়। গুগল মূলত অ্যাপলের আইওএস-এর উন্নয়নের বিরোধিতা করে অপারেটিং সিস্টেমটি তৈরি করেছিল। ২০১০ সালে গুগলের আই/ও সম্মেলনের মূল বক্তৃতায়, গুগলের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট সোশ্যাল ভিক গুন্ডোত্রা দাবি করেছিলেন, "আমরা যদি পদক্ষেপ না নিই, তাহলে আমরা এক ভয়াবহ ভবিষ্যতের মুখোমুখি হব যেখানে একজন মানুষ, একজন ফোন, একজন ক্যারিয়ারই হবে ভবিষ্যৎ। এমন একটি ভবিষ্যৎ আমরা চাই না।" <ref>http://www.theatlantic.com/technology/archive/2013/12/the-day-google-had-to-start-over-on-android/282479/</ref>
অ্যান্ড্রয়েড প্রকাশের প্রায় এক বছর আগে, [[স্টিভ জবস]] ৯ জানুয়ারি, ২০০৭ তারিখে অ্যাপল আইফোন চালু করেছিলেন। গুগলের ভেতরে এই ঘোষণার প্রতিক্রিয়া ছিল অবাক করার মতো। গুগলের একজন কর্মচারী, ক্রিস ডিসালভো মন্তব্য করেছেন;<div align="center">
'''"একজন ভোক্তা হিসেবে আমি অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। আমি তাৎক্ষণিকভাবে একটি চাইছিলাম। কিন্তু একজন গুগল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে, আমি ভেবেছিলাম 'আমাদের নতুন করে শুরু করতে হবে। নব্বইয়ের দশকে আমরা যা হঠাৎ করে দেখেছিলাম তা এমন একটি জিনিস যা দেখলেই স্পষ্ট হয়ে ওঠে।"'''
</div>এই ঘোষণা অনুসারে অ্যান্ড্রয়েড ইঞ্জিনিয়ারদের দ্বারা তাড়াতাড়ি কিছু পরিবর্তন করা হয়। বিশেষ করে তাদের পণ্যে 'টাচস্ক্রিন' যুক্ত করা হয়। যদিও অ্যাপলের ঘোষণা অ্যান্ড্রয়ের আগে এসেছিল। এটি তাদের বাজারে সাময়িকভাবে লাভবান করতে সুবিধা দিয়েছিল। বিষয়টি অ্যান্ড্রয়েরডের একটি সুবিধাজনক অবস্থান হিসেবে দেখা হয়। কারণ এর ফলেঅ্যাপল কী মিস করেছে তা অ্যান্ড্রয়েরডের ইঞ্জিনিয়ারদেরকে দেখার সুযোগকরে দেয়।
অ্যান্ড্রয়েড উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যার লিনাক্সের উপর ভিত্তি করে তৈরি। ফলে এর সোর্স কোড সকলের জন্য প্রাপ্যতাযোগ্য করে তোলে, অ্যান্ড্রয়েডের লিনাক্স পিসিতে আমরা যে লিনাক্স ব্যবহার করি তার থেকে ভিন্নভাবে কাজ করে। পিসির মতো অ্যান্ড্রয়েড লিনাক্স কার্নেল সংস্করণের একটি পরিবর্তিত সংস্করণ ব্যবহার করে।তবে একই সংস্করণ নয়। অ্যান্ড্রয়েডের জন্য লিনাক্স স্মার্টফোনের কথা মাথায় রেখে ডিজাইন করা হয়েছে ।তাই মূল কার্নেলে অন্যান্য সমন্বয়ের সাথে টাচ-স্ক্রিন প্রোগ্রামিং যোগ করা হয়েছে। নিচে কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপাদানের তালিকা দেওয়া হলো।
* অ্যালার্ম ড্রাইভার: ডিভাইসগুলোকে ঘুম থেকে জাগানোর জন্য টাইমার সরবরাহ করে
* Ashmem: অ্যাপ্লিকেশনগুলোকে মেমরি ভাগ করে নেওয়ার সুযোগ দেয় এবং কার্নেল স্তরে ভাগ করে নেওয়ার ব্যবস্থা করে।
* বাইন্ডার ড্রাইভার: আন্তঃ-প্রক্রিয়া যোগাযোগ সহজতর করে কারণ শেয়ার্ড মেমোরি ব্যবহারের মাধ্যমে একাধিক অ্যাপ্লিকেশন দ্বারা ডেটা ভাগ করা যায়। IPC হিসেবে নিবন্ধিত একটি পরিষেবা
পরিষেবা প্রদানকারীদের বিভিন্ন থ্রেড নিয়ে চিন্তা করতে হবে না কারণ বাইন্ডার সেগুলো পরিচালনা, পর্যবেক্ষণ এবং পরিচালনা করবে। বাইন্ডার প্রক্রিয়াগুলোর মধ্যে সিঙ্ক্রোনাইজেশনেরও যত্ন নেয়।
* পাওয়ার ম্যানেজমেন্ট: স্ট্যান্ডার্ড লিনাক্স পাওয়ার ম্যানেজমেন্ট (PM) এর উপরে তৈরি এবং
বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনা এবং সাশ্রয়ের জন্য আরও আক্রমণাত্মক নীতি গ্রহণ করুন। <ref>http://www.handycodeworks.com/wp-content/uploads/2011/02/linux_versus_android.pdf</ref>
গুগল কেন অ্যান্ড্রয়েডকে একটি উন্মুক্ত উৎসের অপারেটিং সিস্টেম বানিয়েছে তা বিতর্কের বিষয়। বিরোধীরা যুক্তি দেন যে সিদ্ধান্তটি মূলত আর্থিক ভিত্তিক ছিল। উন্মুক্ত উৎসের প্রযুক্তির লাভ-ভিত্তিক একাধিক সুবিধা রয়েছে। এটি মূলত সিস্টেমের ব্যাপক জনপ্রিয়তার কারণে। এটি গুগলের নাগাল আরও বাড়িয়ে তোলে এবং তাদের ভোক্তা জনসংখ্যার পরিধি প্রসারিত করে। তবে তাদের ওয়েবসাইটে, অ্যান্ড্রয়েড ব্যাখ্যা করেছে কেন তারা একটি উন্মুক্ত উৎসের সিস্টেম ব্যবহার করে;
'''"অ্যান্ড্রয়েডের প্রাথমিক উদ্দেশ্য হলো ক্যারিয়ার, ওইএম এবং ডেভেলপারদের জন্য একটি উন্মুক্ত সফটওয়্যার প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা যাতে তারা তাদের উদ্ভাবনী ধারণাগুলোকে বাস্তবে রূপ দিতে পারে এবং একটি সফল, বাস্তব-বিশ্বের পণ্য প্রবর্তন করতে পারে যা ব্যবহারকারীদের জন্য মোবাইল অভিজ্ঞতা উন্নত করে। আমরা আরও নিশ্চিত করতে চেয়েছিলাম যে ব্যর্থতার কোনও কেন্দ্রীয় বিন্দু নেই, যেখানে একজন শিল্প খেলোয়াড় অন্য কারও উদ্ভাবনকে সীমাবদ্ধ বা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।"''' <ref>https://source.android.com/source/</ref>
==== আইওএসের উন্নয়ন ====
[[চিত্র:Steve_Jobs_presents_iPhone.jpg|থাম্ব| স্টিভ জবস আইফোন উপস্থাপন করছেন]]
অ্যাপলের মোবাইল ফোন অপারেটিং সিস্টেম, [[আইওএস]]। এটি পূর্বে ওএস নামে পরিচিত ছিল, ৯ জানুয়ারি, ২০০৭ সালে আইফোন প্রবর্তনের মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ করে। প্রথম আইফোনগুলো সেই গ্রীষ্মের পরে বিক্রি শুরু হবে। আইওএসের নকশা অ্যাপল ম্যাকিনটোশের অপারেটিং সিস্টেম ওএস এক্স-এর উপর ভিত্তি করে তৈরি। স্টিভ জবস কর্তৃক আইপড প্রোগ্রামিং এবং ম্যাকিনটোশ প্রোগ্রামিংয়ের মধ্যে একটি প্রতিযোগিতার পর এই সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে ম্যাকিনটোশ ভিত্তিক একটি সিস্টেমই সবচেয়ে উপযুক্ত। ম্যাকিনটোশ দলের নেতৃত্বে ছিলেনস্কট ফরস্টল। তাকে অ্যাপ স্টোর তৈরি এবং বিকাশের জন্য কৃতিত্ব দেওয়া হয়। <ref>http://www.bloomberg.com/news/articles/2011-10-12/scott-forstall-the-sorcerers-apprentice-at-apple</ref>
আইওএস একটি মালিকানাধীন অপারেটিং সিস্টেম এবং তাই এর সোর্স কোড প্রাপ্যতাযোগ্য বা পরিবর্তনযোগ্য নয়। অ্যাপলই একমাত্র কোম্পানি যার পণ্যে আইওএস ব্যবহারের সুযোগ এবং বৈধতা রয়েছে। অপারেটিং সিস্টেম পরিবর্তনের ক্ষেত্রে ব্যবহারকারীদের সীমিত প্রাপ্যতাের কারণে, জেলব্রেকিংয়ের প্রক্রিয়াটি জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে অ্যান্ড্রয়েডের মতো অপারেটিং সিস্টেমে বিরোধী সফটওয়্যারের উপাদান রয়েছে, এই ক্ষেত্রে ওপেন সোর্স। এমন দাবি করা হয়েছে যে স্টিভ জবস আসলে ওপেন সোর্সের একজন পথিকৃৎ ছিলেন। আইওএস-ভিত্তিক ম্যাক অপারেটিং সিস্টেমটি নিজেই ডারউইনের উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যারের উপর ভিত্তি করে তৈরি। ডারউইন ২০০৩ সালে অ্যাপল দ্বারা একটি বিনামূল্যের এবং উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যার লাইসেন্সের অধীনে প্রকাশিত হয়েছিল। অধিকন্তু, স্টিভ জবস দাবি করেছেন যে অ্যান্ড্রয়েড "আসলে তেমন খোলা নয়" তিনি উল্লেখ করেছেন যে কিছু মোবাইল ডিভাইস কোম্পানি যেমন এইচটিসি তাদের ইন্টারফেসে মালিকানাধীন সফটওয়্যার ব্যবহার করেছে। তিনি এতে অসন্তোষ প্রকাশ করেন কারণ এর ফলে ব্যবহারকারীদের নিজেরাই এটি সমাধান করতে হয়। এটিকে অ্যাপল মালিকানাধীন সফটওয়্যার বাস্তবায়নের অন্যতম কারণ হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে; ডিভাইসের ব্যবহারকারী-বান্ধবতা উন্নত করার জন্য।
অ্যান্ড্রয়েডের মতোই, যুক্তি দেওয়া হয় যে এই সিদ্ধান্তটি মূলত আর্থিক ভিত্তিক ছিল। সফটওয়্যারটির কপিরাইট করার মাধ্যমে তারা অন্যান্য কোম্পানিগুলোকে এটি ব্যবহার থেকে বিরত রাখে, তাই যারা ইন্টারফেসটি উপভোগ করেছেন তাদের অ্যাপল পণ্য কিনতে হবে। অ্যাপল স্বীকার করেছে যে অনলাইন সম্প্রদায়ের মধ্যে, বিশেষ করে হ্যাকার সম্প্রদায়ের মধ্যে, প্রোপ্রাইটারিকে অবজ্ঞা করা হয়, তাই তারা টাচস্ক্রিন এবং হোম বোতামের মতো নির্দিষ্ট উদ্ভাবনী বৈশিষ্ট্যগুলোর উপর IOS প্রকাশের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করেছে। মালিকানাধীন সমালোচকরা যুক্তি দেন যে উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যার অ্যাপলের জন্য অনিবার্য। <ref>http://www.wired.com/2015/06/open-sourcing-no-longer-optional-not-even-apple/</ref> তাদের যুক্তি হলো, অ্যাপল যদি প্রতিটি নতুন সংস্করণের সাথে মালিকানার মাত্রা বৃদ্ধি করতে থাকে, তাহলে তারা তাদের জনপ্রিয় অ্যাপ্লিকেশনগুলোর বেশিরভাগের জন্য নির্ভরশীল ডেভেলপারদের বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার ঝুঁকিতে পড়বে। মাইক্রোসফটের লিনাক্সের সাম্প্রতিক গ্রহণযোগ্যতা অ্যাপলের উপর আরও চাপ সৃষ্টি করেছে কারণ মাইক্রোসফটের মালিকানাধীন সফটওয়্যারের সাথে দীর্ঘদিনের মৌলিক সম্পর্ক রয়েছে।
==== বিতর্কের ভূমিকা ====
বিপরীত অপারেটিং সিস্টেমগুলোকে ঘিরে বিতর্কের ব্যবহারিক এবং আদর্শিক উভয় দিক থেকেই গুরুত্ব রয়েছে। ব্যবহারিকতার বিষয়গুলো অনলাইন ফোরামগুলোতে প্রাধান্য পায় এবং প্রায়ই উভয়ের মধ্যে তুলনা করা হয়। ব্যবহারকারী-বান্ধবতা, গোপনীয়তা, নিরাপত্তা, কাস্টমাইজেবিলিটি এবং অ্যাপ্লিকেশনগুলো সরাসরি অপারেটিং সিস্টেমের প্রকৃতি দ্বারা প্রভাবিত হয়, তা মালিকানাধীন হোক বা ওপেন সোর্স। সাধারণ জনগণের কাছে এগুলো বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে হয়। কিন্তু কিছু মানুষের কাছে, বিশেষ করে হ্যাকার সম্প্রদায় এবং ইন্টারনেট কর্মীদের মধ্যে যারা আছেন তাদের কাছে, বিপরীত অপারেটিং সিস্টেমগুলো বিপরীত মতাদর্শের প্রতিনিধিত্ব করে। অ্যান্ড্রয়েডকে 'জনস্বার্থ' হিসেবে দেখা হয়, যেখানে আইওএস 'মানুষের স্বার্থের' প্রতিনিধিত্ব করে। মাইক্রোসফটের গবেষণা সমাজবিজ্ঞানী মার্ক এ. স্মিথ ব্যাখ্যা করেছেন কিভাবে এই দুটির মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখার প্রয়োজন। তিনি "মুক্ত রাইডার" ধারণাটি বর্ণনা করেছেন যারা জনসাধারণের কল্যাণে অবদান না রেখেই তা ব্যবহার করে। এই ধারণাটি বেশিরভাগ অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীদের জন্য প্রযোজ্য হবে যারা সোর্স কোড প্রাপ্যতা বা পরিবর্তন করেন না।
বিরোধী মতাদর্শের পাশাপাশি এটি বিরোধী [[বিবর্তন|বিবর্তনীয় ব্যাখ্যার]] প্রতিনিধিত্ব করে। এমন ধারণা রয়েছে যে প্রতিযোগিতাই ছিল বিবর্তনের একমাত্র চালিকা শক্তি। এটি আইওএস এবং মালিকানাধীন সফটওয়্যারকে সমাজের জন্য সাধারণত উপকারী হিসাবে ব্যাখ্যা করবে। এর বিরোধিতা করা হয় এই দাবির মাধ্যমে যে সহযোগিতা বিবর্তনের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক এবং বর্ধিত প্রাণীজগতেও এটি প্রতিনিধিত্ব করে। <ref>Rheingold, H. (2003). Smart mobs. Cambridge, MA: Perseus Pub. pg39</ref> লিনাক্সকে বর্ণনা করা হয়েছে, "ডেভেলপারদের দ্বারা প্রবর্তিত মিউটেশনের উপর এক ধরণের দ্রুত ডারউইনীয় নির্বাচন তৈরি করা।" "
অনেক দিক থেকেই অপারেটিং সিস্টেমের স্পষ্ট উল্লেখ ছাড়াই জনপ্রিয় বিতর্কটি ঘটেছে। দুটি সর্বাধিক জনপ্রিয় অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে তারা তাদের নিজস্ব ফ্যান ওয়েবসাইট এবং মিটআপের মাধ্যমে উৎসাহী ভক্তদের আকর্ষণ করেছে। সিস্টেমগুলো গুগল এবং অ্যাপলের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্বদের, যেমন স্টিভ জবসের সাথে সেলিব্রিটির লড়াইয়ে প্রবেশ করেছে, অপারেটিং সিস্টেমের চেয়ে বেশি বিখ্যাত হয়ে উঠেছে। নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক এরিক রোবেলস-অ্যান্ডারসন এবং অন্যান্যরা অ্যাপলকে একটি ' ধর্ম-সংস্কৃতি ' হিসেবে বর্ণনা করেছেন। <ref>http://www.techinsider.io/nyu-professor-says-apple-is-a-cult-2015-9</ref> এটিই ছিল 'ম্যাকহেডস' তথ্যচিত্রের ভিত্তি। অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস-এর এখন বিশাল সংখ্যক প্রতিষ্ঠিত ভক্ত রয়েছে যারা তাদের নিজ নিজ অপারেটিং সিস্টেমের প্রতি অনুগত এবং একে অপরের পণ্য কিনবে না <ref>http://www.telegraph.co.uk/technology/apple/10632787/iPhone-owners-admit-having-blind-loyalty-to-Apple.html</ref>
==== অ্যান্ড্রয়েডের সুবিধা এবং সমালোচনা ====
'''প্রাপ্যতা এবং সামঞ্জস্য'''
ব্যবহারকারীদের কাছে এর বিশাল প্রাপ্যতার জন্য অ্যান্ড্রয়েড ধারাবাহিকভাবে প্রশংসিত হয়। এটি এর উন্মুক্ত উৎসের বৈশিষ্ট্যের প্রত্যক্ষ ফলাফল। অনেক কোম্পানি তাদের পণ্যে অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহার করে। এর ফলে গ্রাহকরা আইওএস পরিচালিত পণ্যের তুলনায় ফোন এবং ট্যাবলেটের একটি উল্লেখযোগ্য বিস্তৃত নির্বাচন থেকে পছন্দ করতে পারেন। বিপুল সংখ্যক অ্যান্ড্রয়েড প্রস্তুত ডিভাইসের কারণে পরবর্তীতে অ্যান্ড্রয়েড ৮০% এরও বেশি শেয়ার নিয়ে বাজারে আধিপত্য বিস্তার করতে সক্ষম হয়েছে। <ref>http://www.idc.com/prodserv/smartphone-os-market-share.jsp</ref> এটি সাধারণত (অ্যাপাচি সফটওয়্যার লাইসেন্স ২.০ (এপিএল২.০), একটি বিনামূল্যের সফটওয়্যার লাইসেন্সের অধীনে পরিচালিত লাইসেন্সের কারণে, নির্মাতারা তাদের নিজস্ব স্পেসিফিকেশন অনুসারে সোর্স কোড পরিবর্তন করতে পারে। <ref>http://www.idc.com/prodserv/smartphone-os-market-share.jsp</ref> এইভাবে অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীরা নির্মাতার উপর নির্ভর করে ভিন্ন অভিজ্ঞতা পেতে পারেন। এটি বৈচিত্র্য এবং পছন্দ বৃদ্ধির কারণে উপকারী বলে মনে করা হয়, তবে বিভিন্ন অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং ডিভাইসের মধ্যে মানের বৈষম্যের জন্য এটি সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছে।
'''কাস্টমাইজেবিলিটি'''
অ্যান্ড্রয়েডে, কাস্টমাইজেশনকে প্রকাশ্যে উৎসাহিত করা হয় এবং তাই এটি অনেক হ্যাকারের কার্যত পছন্দ। কাস্টমাইজেশনের এই সুযোগটি ব্যাপক, যেখানে ব্যবহারকারীরা আরও জটিল কাজ করতে পারবেন, যেমন সোর্স কোডে অবদান রাখা এবং প্রচলিত কাস্টমাইজেশনের ত্রুটিগুলো সনাক্ত করা, যেমন টোয়াইলাইট এবং এয়ারড্রয়েডের মতো অ্যাপ ইনস্টল করা এবং অ্যাপ আইকন পরিবর্তন করা। সোর্স কোডটি উপলব্ধ এবং ব্যবহারকারীদের ইচ্ছানুযায়ী ব্যবহার করার জন্য প্রস্তুত। কাস্টমাইজেশনের সাথে এর ইতিবাচক প্রভাবের দুটি ধারণা রয়েছে; অভ্যন্তরীণ এবং বাহ্যিক। অভ্যন্তরীণ বলতে ব্যবহারকারীর নিজস্ব কাস্টমাইজেশন সম্পাদনের মাধ্যমে অর্জিত সন্তুষ্টি বোঝায়, অন্যদিকে বহির্মুখী বলতে কাস্টমাইজেশনের ফলে হওয়া উন্নতির মাধ্যমে ব্যবহারকারীর সন্তুষ্টি বোঝায় ঠিক যেমন আপনি অ্যাপ ডিজাইন করতে এবং [[গুগল প্লে|গুগল প্লে স্টোরে]] অফার করতে সক্ষম হন, আপনি স্টোরের সোর্স কোডও পরিবর্তন করতে পারেন। এই উন্মুক্ততার ফলে অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ ডাউনলোডের সংখ্যা আইওএস-এর চেয়ে বেশি হয়ে গেছে, যদিও এটি অ্যান্ড্রয়েড এবং অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ ডেভেলপারদের উপর একটি বড় নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে: রাজস্ব হ্রাস। গুগল প্লে অ্যাপলের [[App store (IOS)|অ্যাপ স্টোরের তুলনায় ৭০% কম আয় করে।]]
'''ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা'''
অ্যান্ড্রয়েডের সাথে সঠিক ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা নির্মাতাদের মূল সোর্স কোডের পরিবর্তনের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হয়, যদিও প্রযুক্তি সম্প্রদায়ে সাধারণীকরণ করা যেতে পারে এবং করা হয়েছে। অ্যান্ড্রয়েডের খ্যাতি আইওএসের মতো 'পরিষ্কার' না হওয়া এবং 'খাটো' হওয়ার জন্য উন্মুক্ত উৎসের উৎসের কারণে, এর নকশাটি তার প্রতিযোগীর মতো পরিশীলিত বলে বিবেচিত হয় না এবং 'কার্টুনিশ' হওয়ার জন্য আরও সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছে। অন্যান্য অপারেটিং সিস্টেমের সাথে অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতার তুলনা করে করা একটি জরিপে দেখা গেছে যে এটি IOS এর তুলনায় কম স্কোর করেছে (৫৭.২৫ থেকে ৭৩.২৫) ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো প্রাথমিকভাবে ব্যবহারের সহজতা, বিশেষ করে একজন অ-প্রযুক্তিগত ব্যবহারকারীর জন্য। আরেকটি জরিপে দেখা গেছে যে অ্যান্ড্রয়েডের জ্ঞানীয় লোড সবচেয়ে বেশি, সংশ্লিষ্ট IOS এর তুলনায় চার গুণ বেশি। ধারণা করা হচ্ছে,অ্যান্ড্রয়েড স্বাভাবিকভাবে ব্যবহার করতে আইওএসের তুলনায় বেশি সময় নেয়।
'''গোপনীয়তা'''
অ্যান্ড্রয়েড বিজ্ঞাপন লাইব্রেরিগুলোর উপর গবেষণায় দেখা গেছে যে বিজ্ঞাপনগুলো ব্যবহারকারীর অবস্থান, পরিচিতি, ফোন নম্বর সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহ করতে পারে এবং এমনকি ক্যামেরা এবং মাইক্রোফোনেও প্রাপ্যতা পেতে পারে এটি বিজ্ঞাপনগুলোকে সংগৃহীত তথ্যের উপর ভিত্তি করে তাদের ব্যবহারকারীকে আরও ভালভাবে লক্ষ্য করতে দেয়। যখন কোনও বিজ্ঞাপন আপনার নাম, ঠিকানা এবং সহযোগীদেরও শনাক্ত করতে সক্ষম হয়, তখন এটি আরও গুরুতর গোপনীয়তার সমস্যা হয়ে উঠতে পারে। এটি অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস প্ল্যাটফর্মের জন্য একটি সমস্যা। দেখা গেছে যে গ্রাহকরা প্রায়ই ডিফল্ট গোপনীয়তা বিকল্পগুলোতে সম্মতি জানান। এর ফলে গোপনীয়তা কর্মীরা 'অপ্ট ইন' বৈশিষ্ট্যের জন্য প্রচারণা চালাচ্ছেন, যেমনটি ইইউতে দেখা যায়। এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা একটি বিজ্ঞাপনের প্রাপ্যতা সম্পর্কে আরও স্বচ্ছ ধারণা দিচ্ছেন। যদিও অ্যাপের গোপনীয়তার স্পেসিফিকেশনের জন্য অ্যান্ড্রয়েড সমালোচিত হয়েছে, তবুও অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস উভয়কেই এই আইনগুলো মেনে চলতে হবে। এটি ব্যবহারকারীকে অ্যাপের গোপনীয়তা চুক্তি গ্রহণ বা প্রত্যাখ্যান করার সুযোগ দেয় কিন্তু পরবর্তী সময়ে এতে কোনও পরিবর্তন আনে না। বিপরীতে, IOS ব্যবহারকারীকে গোপনীয়তা চুক্তি গ্রহণের পরে একটি অ্যাপের নির্দিষ্ট প্রাপ্যতা নিষ্ক্রিয় করার সুযোগ দেয়, যেমন ক্যামেরা প্রাপ্যতা নিষ্ক্রিয় করা।
'''ওয়েব ব্রাউজার'''
অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীকে তাদের পছন্দের ডিফল্ট ওয়েব ব্রাউজার নির্ধারণ করতে দেয়। এটি গুগল প্লে স্টোর থেকে একটি তৃতীয় পক্ষের অ্যাপ অধিগ্রহণের মাধ্যমে করা হয় তবে অ্যান্ড্রয়েডের অ্যাপল-বিকশিত ব্রাউজার [[সাফারি (ওয়েব ব্রাউজার)|সাফারিতে]] প্রাপ্যতা নেই; আইওএসের তুলনায় ব্যবহারকারীদের তাদের পছন্দের ব্রাউজারটি সম্পূর্ণরূপে পরিবর্তন করার সুযোগ দেওয়ার জন্য অ্যান্ড্রয়েড প্রশংসিত হয়েছে, যেখানে সাফারি অন্তর্নির্মিত এবং আনইনস্টল করা যায় না।
'''প্রাপ্যতা এবং সামঞ্জস্য'''
IOS উপলব্ধ এবং শুধুমাত্র Apple পণ্যের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এই বৈশিষ্ট্যটি সমালোচিত হয়েছে কারণ এর অর্থ হলো অ্যাপ স্টোর এবং গুগল প্লে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়, তাই ব্যবহারকারীরা অ্যাপগুলোতে একই স্তরের প্রাপ্যতা পান না। যদিও অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম ওপেন সোর্স, গুগল প্লে নয়। শুধুমাত্র অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীরা এটি ব্যবহার করতে পারবেন। আইওএসের বাজার শেয়ার ১৩.৯। % <ref>http://www.idc.com/prodserv/smartphone-os-market-share.jsp</ref> মানে IOS ব্যবহারকারীরা সংখ্যালঘু।
'''কাস্টমাইজেবিলিটি'''
IOS সোর্স কোড কোনওভাবেই ব্যবহারকারীর জন্য কাস্টমাইজযোগ্য নয়। এটি অনেককে ক্ষুব্ধ করেছে এবং জেলব্রেকিংয়ের এখন সাধারণ এবং আইনত অস্পষ্ট প্রথার দিকে পরিচালিত করেছে। এই অনুশীলনের মধ্যে রয়েছে [[ডিজিটাল অধিকার ব্যবস্থাপনা|ডিজিটাল রাইটস ম্যানেজমেন্ট (DRM)]] বিধিনিষেধ উপেক্ষা করা এবং সফটওয়্যার পরিবর্তন করা। এটি মূলত "একটি পরিবর্তিত কার্নেল প্যাচ সেট (কার্নেল অপারেটিং সিস্টেমের তত্ত্বাবধায়ক) ইনস্টল করার প্রক্রিয়া যা আপনাকে স্বাক্ষরবিহীন কোড চালানোর সুযোগ দেয়" হিসাবে ভাবা যেতে পারে। অ্যাপল উন্নত আপডেটের মাধ্যমে জেলব্রেকিং সীমিত করার চেষ্টা করেছে। অ্যাপলের সাপোর্ট পেজে জেলব্রেকিংয়ের অসুবিধাগুলো ব্যাখ্যা করা হয়েছে;
* নিরাপত্তা দুর্বলতা: আপনার ডিভাইস জেলব্রেক করলে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য এবং আপনার iOS ডিভাইস সুরক্ষিত রাখার জন্য তৈরি নিরাপত্তা স্তরগুলো দূর হয়ে যায়। আপনার iOS ডিভাইস থেকে এই নিরাপত্তা ব্যবস্থা সরিয়ে ফেলা হলে, হ্যাকাররা আপনার ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করতে পারে, আপনার ডিভাইসের ক্ষতি করতে পারে, আপনার নেটওয়ার্ক আক্রমণ করতে পারে, অথবা ম্যালওয়্যার, স্পাইওয়্যার বা ভাইরাস প্রবেশ করাতে পারে।
* অস্থিরতা: ডিভাইসের ঘন ঘন এবং অপ্রত্যাশিত ক্র্যাশ, বিল্ট-ইন অ্যাপ এবং থার্ড-পার্টি অ্যাপের ক্র্যাশ এবং ফ্রিজ, এবং ডেটা হারানো।
* ব্যাটারির আয়ু কমে গেছে: হ্যাক করা সফটওয়্যারটির কারণে ব্যাটারি দ্রুত শেষ হয়ে গেছে। এটি একবার ব্যাটারি চার্জ করলেই আইফোন, আইপ্যাড বা আইপড টাচের কাজকর্ম কমিয়ে দেয়।
* অবিশ্বস্ত ভয়েস এবং ডেটা: কল বন্ধ, ধীর বা অবিশ্বস্ত ডেটা সংযোগ, এবং বিলম্বিত বা ভুল অবস্থান ডেটা।
* পরিষেবার ব্যাঘাত: ভিজ্যুয়াল ভয়েসমেইল, আবহাওয়া এবং স্টকের মতো পরিষেবাগুলো ডিভাইসে ব্যাহত হয়েছে অথবা আর কাজ করছে না। এছাড়াও, অ্যাপল পুশ নোটিফিকেশন সার্ভিস ব্যবহারকারী তৃতীয় পক্ষের অ্যাপগুলোর বিজ্ঞপ্তি পেতে অসুবিধা হয়েছে অথবা এমন বিজ্ঞপ্তি পেয়েছে যা অন্য কোনও হ্যাক করা ডিভাইসের জন্য তৈরি। [[আইক্লাউড|iCloud]] এবং Exchange-এর মতো অন্যান্য পুশ-ভিত্তিক পরিষেবাগুলো তাদের নিজ নিজ সার্ভারের সাথে ডেটা সিঙ্ক্রোনাইজ করতে সমস্যায় পড়েছে।
* ভবিষ্যতে সফটওয়্যার আপডেট প্রয়োগ করতে অক্ষমতা: কিছু অননুমোদিত পরিবর্তন iOS-এর এমন ক্ষতি করেছে যা মেরামতযোগ্য নয়। এর ফলে ভবিষ্যতে অ্যাপল-সরবরাহকৃত iOS আপডেট ইনস্টল করার সময় হ্যাক হওয়া আইফোন, আইপ্যাড, বা আইপড টাচ স্থায়ীভাবে অকার্যকর হয়ে যেতে পারে।
'''ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা'''
আইওএস-এর ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতার জন্য অ্যাপল মূলত প্রশংসিত হয়েছে। এটি 'নান্দনিক অখণ্ডতা' এবং 'ধারাবাহিকতা' নীতির উপর নির্ভর করে অ্যাপল উল্লেখ করেছে যে নান্দনিকতার সাথে এটি সৌন্দর্য সম্পর্কে খুব বেশি কিছু নয় বরং, "একটি অ্যাপের চেহারা এবং আচরণ কতটা ভালোভাবে তার কার্যকারিতার সাথে একটি সুসংগত বার্তা পাঠায় তা বোঝায়।" "আইওএস-এর অ্যাপ স্টোরে অ্যান্ড্রয়েডের গুগল প্লে-এর তুলনায় কঠোর নির্দেশিকা রয়েছে।" এটি ইতিবাচক নাকি নেতিবাচক বৈশিষ্ট্য তা নিয়ে মতবিরোধ রয়েছে। IOS-এর 'ধারাবাহিকতা' নীতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ, সমস্ত অ্যাপই মানুষের দ্বারা পর্যালোচনা করা হয়, সম্প্রতি অ্যান্ড্রয়েডও এই বৈশিষ্ট্যটি গ্রহণ করেছে। এটিকে আইওএসের কঠোর নির্দেশিকাগুলো ইতিবাচক বলে গ্রহণযোগ্যতা হিসেবে দেখা হচ্ছে।
'''ওয়েব ব্রাউজার'''
গুগল ক্রোম এবং ফায়ারফক্সের মতো একাধিক উন্মুক্ত উৎসের ওয়েব ব্রাউজার আইওএস সহ অ্যাপ স্টোর থেকে ডাউনলোডের জন্য উপলব্ধ। তবে Safari হলো বিল্ট-ইন ইন্টারনেট ব্রাউজার, এবং তাই, খোলা যেকোনো লিঙ্ক Safari তে পুনঃনির্দেশিত হবে ব্যবহারকারীদের দ্বারা Safari প্রশংসিত এবং সমালোচিত উভয়ই হয়েছে। অ্যাপল তার ব্রাউজারগুলো (সাফারি, ক্রোম, ফায়ারফক্স ইত্যাদি) ওয়েবকিট তে চালায় তাই গতি ধারাবাহিকভাবে বেশি থাকে। 'ট্র্যাক করবেন না' বৈশিষ্ট্যটি সমর্থন করার জন্য সাফারিও প্রশংসিত হয়েছে। স্মার্টফোনের গোপনীয়তা নিয়ে উদ্বিগ্ন ব্যক্তিদের জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি বিজ্ঞাপনদাতাদের অনলাইনে আপনার ট্র্যাক করা বন্ধ করে দেয়। তবে আইওএসের মালিকানাধীন প্রকৃতির কারণে, তারা অন্যান্য ওয়েব ব্রাউজারগুলোতে এই ফাংশনের প্রাপ্যতা সীমিত করেছে, তাদের সাফারি ব্যবহারে রাজি করার একটি ধারণাগত প্রচেষ্টা হিসেবে। তৃতীয় পক্ষের ব্রাউজারগুলোতে IOS-এর আরও অনেক বিধিনিষেধ রয়েছে। যেহেতু Safari iOS-এ অন্তর্নির্মিত, তাই সিস্টেম ক্র্যাশ বিশ্বব্যাপী একাধিক ডিভাইসের বেশিরভাগ IOS ব্যবহারকারীকে প্রভাবিত করবে। ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে এই ঘটনাটি ঘটেছিল যখন কোনও ব্যবহারকারী অ্যাড্রেস বারে কিছু অনুসন্ধান করলে একটি বাগ সাফারি ক্র্যাশ করে
==== অ্যান্ড্রয়েড প্ল্যাটফর্ম নিরাপত্তা ====
'''অ্যান্ড্রয়েড নিরাপত্তা প্রতিশ্রুতি'''
অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল প্ল্যাটফর্মের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ এবং ব্যবহারযোগ্য অপারেটিং সিস্টেম হতে চায়, ঐতিহ্যবাহী অপারেটিং সিস্টেমের নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রণগুলোকে পুনঃউদ্দেশ্য দিয়ে:
* ব্যবহারকারীর ডেটা সুরক্ষিত করুন
* সিস্টেম রিসোর্স (নেটওয়ার্ক সহ) সুরক্ষিত করুন
* অ্যাপ্লিকেশন আইসোলেশন প্রদান করুন
এই লক্ষ্যগুলো অর্জনের জন্য, অ্যান্ড্রয়েড এই গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্যগুলো প্রদান করে:
* লিনাক্স কার্নেলের মাধ্যমে অপারেটিং সিস্টেম স্তরে শক্তিশালী নিরাপত্তা
* সকল অ্যাপ্লিকেশনের জন্য বাধ্যতামূলক অ্যাপ্লিকেশন স্যান্ডবক্স
* নিরাপদ আন্তঃপ্রক্রিয়া যোগাযোগ
* আবেদনপত্র স্বাক্ষর
* অ্যাপ্লিকেশন-সংজ্ঞায়িত এবং ব্যবহারকারী-প্রদত্ত অনুমতি
'''অ্যান্ড্রয়েড নিরাপত্তা সমালোচনা'''
অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ্লিকেশনগুলো একটি স্যান্ডবক্সে চলে। এটি সিস্টেমের একটি বিচ্ছিন্ন এলাকা যেখানে সিস্টেমের বাকি সংস্থানগুলোতে প্রাপ্যতা থাকে না, যদি না অ্যাপ্লিকেশনটি ইনস্টল করার সময় ব্যবহারকারী দ্বারা স্পষ্টভাবে প্রাপ্যতাের অনুমতি দেওয়া হয়। যদিও, Felt & Chin (২০১২) এর পর্যবেক্ষণ অনুযাতী, "'স্যান্ডবক্সিং' এবং অনুমতি ব্যবস্থা অ্যাপ্লিকেশনগুলোতে দুর্বলতা এবং বাগের প্রভাব কমায়। কিন্তু ডেভেলপারদের বিভ্রান্তি এবং সীমিত ডকুমেন্টেশনের ফলে অ্যাপ্লিকেশনগুলো নিয়মিতভাবে অপ্রয়োজনীয় অনুমতির অনুরোধ করে। এর ফলে এর কার্যকারিতা হ্রাস পায়"। এর উপরে, এটিও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে যে অ্যান্ড্রয়েডের ফ্র্যাগমেন্টেশন নিরাপত্তার জন্যও একটি সমস্যা। কারণ মূল অপারেটিং সিস্টেমে পাওয়া বাগের প্যাচগুলো প্রায়ই পুরানো এবং কম দামের ডিভাইসের ব্যবহারকারীদের কাছে পৌঁছায় না (কিংসলে-হিউজেস, ২০১৫)। অধিকন্তু, কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় দুর্বলতার উপর গবেষণা চালিয়েছে, যেখানে তারা এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে যে "বিক্রেতাদের প্যাচ এবং আপডেট সহ পুরানো ডিভাইসগুলোকে সমর্থন করতে ব্যর্থতার ফলে সক্রিয় ডিভাইসগুলোর সাতাশি শতাংশেরও বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে" (থমাস, বেরেসফোর্ড এবং রাইস ২০১৪)।
'''নম্বর অনুসারে অ্যান্ড্রয়েড'''
২০১৩ সালের ৩ সেপ্টেম্বরের তথ্য অনুযায়ী গুগল প্লে অ্যাপ স্টোর এক বিলিয়নেরও বেশি অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস সক্রিয় করেছে। আনুমানিক হিসাব অনুসারে, ৪০০ টিরও বেশি অ্যাপ্লিকেশন কমপক্ষে এক কোটি বার এবং ৮০০ টিরও বেশি অ্যাপ্লিকেশন কমপক্ষে পাঁচ কোটি বার ইনস্টল করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এই অ্যাপগুলো হলো গুগল প্লে অ্যাপ যার ডাউনলোড সংখ্যা অনন্য ডিভাইসে এক বিলিয়নেরও বেশি। ২০১৫ সালের ২৫শে জুন তারিখের তথ্য অনুযায়ী এই শীর্ষ বিভাগে স্থান পাওয়ার জন্য ১২টি অ্যাপ্লিকেশন রয়েছে। এগুলোর প্রতিটিই গুগল অথবা ফেসবুকের মালিকানাধীন:
# জিমেইল
# গুগল ম্যাপস
# ইউটিউব
# ফেসবুক
# গুগল সার্চ
# গুগল+
# হোয়াটসঅ্যাপ
# গুগল টেক্সট-টু-স্পিচ
# গুগল বই
# বার্তাবহ
# গুগল হ্যাঙ্গআউট
# গুগল ক্রোম
'''আইওএস প্ল্যাটফর্ম নিরাপত্তা'''
প্রতিটি iOS ডিভাইস সর্বাধিক নিরাপত্তা এবং স্বচ্ছ ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতার জন্য একসাথে কাজ করার জন্য ডিজাইন করা সফটওয়্যার, হার্ডওয়্যার এবং পরিষেবাগুলোকে একত্রিত করে। iOS কেবল ডিভাইস এবং এর ডেটাই সুরক্ষিত রাখে না, বরং সমগ্র ইকোসিস্টেমকে সুরক্ষিত রাখে, যার মধ্যে রয়েছে স্থানীয়ভাবে, নেটওয়ার্কে এবং গুরুত্বপূর্ণ ইন্টারনেট পরিষেবাগুলোর মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা যা কিছু করেন তা। iOS-এর অনেক নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য ডিফল্টরূপে সক্রিয় থাকে, তাই আইটি বিভাগগুলোকে ব্যাপক কনফিগারেশন সম্পাদনের প্রয়োজন হয় না। এবং ডিভাইস এনক্রিপশনের মতো গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্যগুলো কনফিগারযোগ্য নয়, তাই ব্যবহারকারীরা ভুল করেও সেগুলো অক্ষম করতে পারবেন না। অন্যান্য বৈশিষ্ট্য, যেমন টাচ আইডি, ডিভাইসটিকে সুরক্ষিত করা সহজ এবং আরও স্বজ্ঞাত করে ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা উন্নত করে।
'''আইওএস নিরাপত্তা প্রতিশ্রুতি'''
অ্যাপল নিরাপত্তার বিষয়টিকে কেন্দ্র করে iOS প্ল্যাটফর্মটি ডিজাইন করেছে। যখন আমরা সর্বোত্তম সম্ভাব্য মোবাইল প্ল্যাটফর্ম তৈরির লক্ষ্যে যাত্রা শুরু করি, তখন আমরা কয়েক দশকের অভিজ্ঞতা থেকে সম্পূর্ণ নতুন একটি স্থাপত্য তৈরি করি। ফলস্বরূপ, মোবাইল ডিভাইসের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে iOS একটি বড় অগ্রগতি।
আইওএস সিকিউরিটি নিম্নলিখিত বৈশিষ্ট্যগুলো প্রদান করতে চায়:
* সিস্টেম নিরাপত্তা: সমন্বিত এবং সুরক্ষিত সফটওয়্যার এবং হার্ডওয়্যার যা প্ল্যাটফর্ম
আইফোন, আইপ্যাড এবং আইপড টাচের জন্য।
* এনক্রিপশন এবং ডেটা সুরক্ষা: স্থাপত্য এবং নকশা যা ব্যবহারকারীর ডেটা সুরক্ষিত রাখে যদি
ডিভাইসটি হারিয়ে গেলে বা চুরি হয়ে গেলে, অথবা যদি কোনও অননুমোদিত ব্যক্তি এটি ব্যবহার বা পরিবর্তন করার চেষ্টা করে।
* অ্যাপ নিরাপত্তা: এমন সিস্টেম যা অ্যাপগুলোকে নিরাপদে এবং আপস ছাড়াই চালাতে সক্ষম করে
* নেটওয়ার্ক নিরাপত্তা: ট্রান্সমিশনে ডেটার প্রমাণীকরণ এবং এনক্রিপশনের মাধ্যমে শিল্প-মানক নেটওয়ার্কিং প্রোটোকল যা নিরাপদ প্রদান করে ।
* অ্যাপল পে: অ্যাপলের নিরাপদ পেমেন্ট বাস্তবায়ন।
* ইন্টারনেট পরিষেবা: মেসেজিং, সিঙ্কিং এবং ব্যাকআপ।
* ডিভাইস কন্ট্রোল: এমন পদ্ধতি যা ডিভাইসের অননুমোদিত ব্যবহার প্রতিরোধ করে এবং সক্ষম করে। এর মাধ্যমে হারিয়ে গেলে বা চুরি হয়ে গেলে দূর থেকে মুছে ফেলা হবে।
* প্রাইভেসি কন্ট্রোল: iOS এর ক্ষমতা যা লোকেশন প্রাপ্যতা নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যবহার করা যেতে পারে
'''আইওএস নিরাপত্তা সমালোচনা'''
নিরাপত্তা হুমকি মোকাবেলায় অ্যাপলের উন্মুক্ততা নিয়ে বিশেষজ্ঞ এবং সাংবাদিক উভয়ই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। বিশেষ করে তারা আশঙ্কা করছে যে অ্যাপল তার নিরাপত্তা দুর্বলতা সম্পর্কে জনসাধারণকে অবহিত করার জন্য পদক্ষেপ না নিয়ে তার ক্লায়েন্টদের বিপদে ফেলবে। তবে অ্যাপল পণ্যের নিরাপত্তা দুর্বলতা সম্পর্কে জনগণের সচেতনতার অভাব জনসাধারণকে বিভ্রান্ত করার জন্য অ্যাপলের সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। এটি বছরের পর বছর ধরে বেড়েছে (ভিয়েগা, ২০০৯)। এই সমালোচনা অ্যাপলের সময়মতো নিরাপত্তা আপডেট সহ তার পণ্যগুলো আপডেট করতে ব্যর্থতার দিকেও দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। কিছু বিশেষজ্ঞের মতে, সামগ্রিকভাবে, অ্যাপল পণ্যগুলোতে হ্যাকারদের আক্রমণ বা ভাইরাস/ম্যালওয়্যার দ্বারা সংক্রামিত হওয়ার সম্ভাবনা কম, যদিও তারা জোর দিয়ে বলেন যে এটি মূলত অ্যাপল পণ্যগুলোতে আক্রমণে হ্যাকারদের আগ্রহের অভাবের কারণে, যদিও iCloud এবং অ্যাপল ডিভাইসগুলোকে ঘিরে সাম্প্রতিক নিরাপত্তা হুমকিগুলো অন্যথার ইঙ্গিত দেয়।
২০১৩ সালের জুন মাসে দ্য গার্ডিয়ান এবং দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট উভয়ের দ্বারা ফাঁস হওয়া জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার নথি উন্মোচিত হওয়ার পর অ্যাপলের উপর আরেকটি দ্বিধা তৈরি হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। নথিগুলোতে বলা হয়েছে যে অ্যাপল আমেরিকান কোম্পানিগুলোর তালিকায় রয়েছে যারা অভিযোগ করে যে PRISM-এর সাথে সহযোগিতা করে। এটি সরকারকে গোপনে আমেরিকান কোম্পানিগুলোর দ্বারা হোস্ট করা অ-আমেরিকান নাগরিকদের ডেটা প্রাপ্যতা করার সুযোগ দেয় কোনও ওয়ারেন্ট ছাড়াই। সরকারি কর্মকর্তারা এই প্রোগ্রামের অস্তিত্ব স্বীকার করেছেন। এটি থেকে বোঝা যায় যে "এনএসএ-র ওই কোম্পানিগুলোর সার্ভারগুলোতে সরাসরি প্রবেশাধিকার রয়েছে, এবং ফাঁসের আগের বছরগুলোতে প্রোগ্রামের মাধ্যমে সংগৃহীত তথ্যের পরিমাণ দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছিল" (স্যাভেজ, ২০১৩)। অ্যাপল এই প্রোগ্রাম সম্পর্কে কোনও জ্ঞান থাকার কথা অস্বীকার করেছে।
অ্যাপল এখনও iOS নিরাপদ বলে দাবি করে। তবে iOS নিরাপত্তা সংক্রান্ত সাম্প্রতিক কেলেঙ্কারির পর অনেক ব্যবহারকারী ভিন্ন মত পোষণ করবেন। ২০১৫ সালের ২০ সেপ্টেম্বরের দিকে চিহ্নিত সর্বশেষ নিরাপত্তা সংক্রান্ত দুর্নীতির ঘটনাগুলো হলো, চীনে অবস্থিত কিছু ডেভেলপার iOS অ্যাপ স্টোরের জন্য অ্যাপ তৈরি করতে ভুল প্রোগ্রাম ব্যবহার করেছেন।<ref>http://www.macworld.co.uk/feature/iosapps/is-ipad-iphone-ios-safe-xcodeghost-what-security-software-need-3453938/</ref> ধারণা করা হচ্ছে যে ডেভেলপাররা Xcode-এর একটি নকল সংস্করণ ডাউনলোড করেছেন। কারণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে হোস্ট করা অ্যাপলের নিজস্ব সার্ভার থেকে ডাউনলোড করতে অনেক সময় লাগছিল। Xcode-এর মোট আকার প্রায় ৩.৯ গিগাবাইট। চীনা ডেভেলপাররা অ্যাপলের নিজস্ব Xcode-এর পরিবর্তে XcodeGhost ব্যবহার করছিলেন। প্রভাবিত অ্যাপগুলো চীনা হলেও সেগুলোর মধ্যে অ্যাংরি বার্ডস ২-এর মতো কয়েকটি জনপ্রিয় অ্যাপ ছিল। যদিও রোভিও নিশ্চিত করেছে যে অ্যাংরি বার্ডস ২-এর শুধুমাত্র চীনা অ্যাপ স্টোর সংস্করণটি ঝুঁকিপূর্ণ।9to5Mac অনুসারে, শীঘ্রই এর সমাধান আসছে। কিন্তু সাম্প্রতিক নিরাপত্তার কৃতিত্বের পাশাপাশি, ২০১৪ সালটি এমন একটি বছর হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে যেখানে IOS-এর নিরাপত্তা দুর্বলতা সর্বকালের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে বেশ কয়েকটি নিরাপত্তা ত্রুটি চিহ্নিত করা হয়েছিল। এর ফলে যদি ব্যবহারকারী একটি অরক্ষিত হটস্পট ব্যবহার করেন, সম্ভবত একটি ইন্টারনেট ক্যাফেতে একজন আক্রমণকারীর পক্ষে ব্যবহারকারীর ডেটা আটকানো সম্ভব হয়েছিল ।
'''সংখ্যা অনুসারে আইওএস'''
অ্যান্ড্রয়েডের পরে iOS হলো বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বাধিক জনপ্রিয় মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আইপ্যাডের বিক্রি অ্যান্ড্রয়েডের চেয়েও পিছিয়ে। যদিও ওয়েব ব্যবহারের (সকল ব্যবহারের জন্য একটি প্রক্সি) দিক থেকে আইপ্যাড (আইওএস ব্যবহার করে) এখনও সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়। ২০১২ সালের মাঝামাঝি সময়ে ৪১ কোটি ডিভাইস সক্রিয় করা হয়েছিল। WWDC ২০১৪-তে, টিম কুক বলেছিলেন, ২০১৪ সালের জুন নাগাদ ৮০০ মিলিয়ন ডিভাইস বিক্রি হয়েছে। ২৭ জানুয়ারি, ২০১৫ তারিখে অ্যাপলের ত্রৈমাসিক আয়ের আহ্বানের সময়, অ্যাপল ঘোষণা করে যে ২০০৭ সাল থেকে তারা এখন এক বিলিয়ন iOS ডিভাইস বিক্রি করেছে (শুধুমাত্র ২০১৪ সালে বিক্রি হওয়া অ্যান্ড্রয়েডের তুলনায় একটু কম)। ১৬ জানুয়ারি, ২০০৯ তারিখে, অ্যাপল তার ওয়েবসাইটে ঘোষণা করে যে ৫০ কোটি অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড করা হয়েছে। বিলিয়নতম অ্যাপ্লিকেশনটি ২৩শে এপ্রিল, ২০০৯ তারিখে ডাউনলোড করা হয়েছিল। ৩ মার্চ, ২০১২ তারিখে, ডাউনলোড করা অ্যাপের সংখ্যা ২৫ বিলিয়নে পৌঁছেছে। ৮ জুন, ২০১৫ তারিখে, অ্যাপল ঘোষণা করে যে অ্যাপ স্টোর ১০০ বিলিয়ন ডাউনলোড অতিক্রম করেছে।
ডিসেম্বর ২০১৪-এর সবচেয়ে বেশি ডাউনলোড হওয়া আইফোন এবং আইপ্যাড অ্যাপগুলোর তালিকা এখানে দেওয়া হলো: (পেইড/ ফ্রি)
# ক্ল্যাশ অফ ক্ল্যানস / অ্যাংরি বার্ডস ২
# মাইনক্রাফট / স্ন্যাপচ্যাট
# আফটারলাইট / ইউটিউব
# প্লেগ ইনকর্পোরেটেড / ফেসবুক
# স্লিপ সাইকেল অ্যালার্ম ক্লক / ইনস্টাগ্রাম
# ফেসটিউন / প্যান্ডোরা রেডিও
# কাট দ্য রোপ ২ / গুগল ম্যাপস
# ব্লুনস টিডি ৫ / ফ্লিপগ্রাম
# একটি অন্ধকার ঘর / স্পটিফাই
# ৭ মিনিট ওয়ার্কআউট চ্যালেঞ্জ / ২০৪৮
=== ওয়েব ব্রাউজার ===
==== ভূমিকা ====
[[ওয়েব ব্রাউজার]] হলো এমন অ্যাপ্লিকেশন যা একসময় ব্যবহারকারীদের ইন্টারনেট প্রাপ্যতা এবং ব্যবহার করার সুযোগ দেওয়ার জন্য ব্যবহার করা হত। কিন্তু প্রযুক্তি যত উন্নত হচ্ছে, ততই আমরা ব্রাউজারটি খোলার জন্য আরও বেশি ব্যবহার খুঁজে পাচ্ছি। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, ব্যবহারকারী ইন্টারফেস এবং এক্সটেনশনের মতো সহজ বৈশিষ্ট্যগুলো গ্রাহকদের মধ্যে সিদ্ধান্ত প্রক্রিয়ার অংশ হয়ে উঠেছে যখন তারা কোন ওয়েব ব্রাউজার ব্যবহার করবেন তা সিদ্ধান্ত নেন।
প্রথম ওয়েব ব্রাউজারটি তৈরি করা হয়েছিল কেবল WorldWideWeb (পরবর্তীতে নামটি নেক্সাসে পরিবর্তিত হয়)। [[টিম বার্নার্স-লি|স্যার টিম বার্নার্স-লি]] ১৯৯০ সালে এটি তৈরি করেন। সময়ের সাথে সাথে এবং প্রযুক্তির উন্নতির সাথে সাথে, সহজেই প্রাপ্যতাযোগ্য ব্রাউজারের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়, যার কিছুক্ষণ পরেই ১৯৯২ সালে Erwise মুক্তি পায় এবং এটি গ্রাফিক্যাল ইউজার ইন্টারফেস সহ প্রথম সাধারণভাবে প্রাপ্যতাযোগ্য ব্রাউজার ছিল। তবে ১৯৯৩ সালে [[মোজাইক (ব্রাউজার)|মোজাইক]] মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই জনসাধারণের কাছে একটি সহজে অতিক্রমযোগ্য লেআউট উপস্থাপন করা হয়েছিল, যেখানে এটি ব্যবহারকারী সকলের জন্য আরও সুগম ব্যবহারকারী ইন্টারফেসের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করা হয়েছিল। মোজাইকে বাস্তবায়িত অনেক বৈশিষ্ট্য এখনও বর্তমান জনপ্রিয় ব্রাউজারগুলোতে বিদ্যমান, যেমন উপরে একটি URL বার এবং পিছনে/ফরোয়ার্ড বোতাম।
বর্তমানে, বাজারে পাঁচটি ব্রাউজার আধিপত্য বিস্তার করছে; [[ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার]], [[মোজিলা ফায়ারফক্স|ফায়ারফক্স]], [[গুগল ক্রোম|গুগল ক্রোম,]] [[সাফারি (ওয়েব ব্রাউজার)|সাফারি]] এবং [[অপেরা (ওয়েব ব্রাউজার)|অপেরা]] । এই পাঁচটি ব্রাউজারে বেশিরভাগই কিছুটা উন্মুক্ত উৎসের। সোর্স কোডের কিছু দিক সকলের জন্য প্রাপ্যতাযোগ্য। এর একমাত্র ব্যতিক্রম ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার। এটি ১৯৯৫ সালে প্রকাশের পর থেকে সম্পূর্ণ মালিকানাধীন।
==== ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের আধিপত্য এবং পতন ====
ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার প্রথম আত্মপ্রকাশ করে ১৯৯৫ সালে যা [[মাইক্রোসফট কর্পোরেশন|মাইক্রোসফট]] দ্বারা উইন্ডোজ ৯৫ অ্যাড-অন প্যাকেজের অংশ হিসেবে তৈরি করা হয়েছিল এবং লঞ্চের সময় এটি অত্যন্ত সফল হয়েছিল। ২০০০-এর দশকের গোড়ার দিকে, ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার বাজারের বেশিরভাগ অংশ দখল করে রেখেছিল, ২০০৩ সালে ৯৫%-এ পৌঁছেছিল। তবে অন্যান্য জনপ্রিয় ওয়েব ব্রাউজারগুলোর উত্থানের সাথে সাথে, বাজারে ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের আধিপত্য এখন প্রায় হাস্যকর বলে মনে হচ্ছে, ব্রাউজারটি অনেক ইন্টারনেট রসিকতার মূল বিষয়। যদিও এটি শীর্ষ পাঁচটি সর্বাধিক ব্যবহৃত ব্রাউজারের মধ্যে রয়ে গেছে, তবুও এর জনপ্রিয়তা এবং খ্যাতি এখনও ক্ষতিগ্রস্ত এবং ক্রমাগত হ্রাস পাচ্ছে এমন ব্যবহারের পরিসংখ্যান তা প্রতিফলিত করে। <ref>http://gs.statcounter.com/#all-browser-ww-monthly-200812-201602</ref>
ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের ইতিহাসে এমন অনেক বিষয় রয়েছে যা মানুষ এর জনপ্রিয়তা হ্রাসের কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছে, যার মধ্যে কিছু বিষয় এই সত্যকে প্রতিফলিত করে যে IE প্রকৃতিগতভাবে সম্পূর্ণ মালিকানাধীন। প্রথমত, ২০০১ সালে ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের ষষ্ঠ প্রধান সংস্করণ, IE6- এর মুক্তিকে এই মুহূর্তগুলোর মধ্যে একটি বলে মনে করা হয়। [[ম্যালওয়্যার]] এবং অন্যান্য নিরাপত্তা লঙ্ঘনের বৃহৎ সমস্যা দেখা দেওয়ার সাথে সাথে, বিশেষজ্ঞরা ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার ব্যবহারকারীদের অন্যান্য নির্ভরযোগ্য ব্রাউজারে স্যুইচ করার পরামর্শ দিতে শুরু করেছেন। <ref>https://www.schneier.com/blog/archives/2004/12/safe_personal_c.html</ref> ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের একটি সাধারণ অভিযোগ হলো এই ধরণের সমস্যা আবিষ্কার করা এবং সমস্যাটি সমাধানের জন্য একটি প্যাচ প্রকাশ করার মধ্যে সময় লাগে। এটি প্রায়ই এর মালিকানাধীন প্রকৃতির কারণে হয়। এই ধরনের সমস্যা সমাধানের জন্য একটি নিবেদিতপ্রাণ দল থাকার অর্থ হলো, যখন কোনও পরিচিত সমস্যা দেখা দেয় তখন সহায়তা পাওয়া সহজ হয়, তবে নিরাপত্তার বিষয়গুলোর সমাধান খুঁজে বের করার ক্ষেত্রে, উন্মুক্ত উৎসের উপাদানগুলো প্রায়ই সম্প্রদায়গুলোকে দ্রুত সমাধান খুঁজে বের করার জন্য বিনিয়োগ করে এবং তাই তারা একটি পৃথক দলের চেয়ে দ্রুত সমাধান তৈরি এবং প্রকাশ করতে পারে।
ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের পতনের কথা বলার সময় আরেকটি আকর্ষণীয় বিবেচ্য বিষয় হলো হার্ডওয়্যার IE এর সাথে সম্পর্কিত। ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার প্রায়ই মাইক্রোসফট পণ্যের সাথে প্যাকেজ করা হয়, বিশেষ করে উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম এবং এক্সবক্স ৩৬০। তবে যখন ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার প্রাধান্য পেয়েছিল, তখন এটি আরও অনেক ডিভাইসে প্রাপ্যতাযোগ্য ছিল, বিশেষ করে [[ম্যাকিন্টশ|ম্যাকিনটোশ কম্পিউটারে]] । ম্যাকিনটোশ ব্যবহারকারীদের মধ্যে জনপ্রিয় হওয়া সত্ত্বেও, মাইক্রোসফট ঘোষণা করে যে তারা ২০০৫ সালে ম্যাকিনটোশ কম্পিউটারে ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের ডেভেলপমেন্ট বন্ধ করার পরিকল্পনা করছে। যেহেতু IE একটি মালিকানাধীন ব্রাউজার, তাই এটি ডেভেলপমেন্টের দৃষ্টিকোণ থেকে অনেক অর্থবহ। এটি উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের ডেভেলপমেন্টের উপর আরও বেশি মনোযোগ দেওয়ার সুযোগ করে দেয়। তবে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্নতার ফলে বাজারের একটি বৃহৎ অংশ সম্পূর্ণরূপে প্রাপ্যতাযোগ্য হয়ে ওঠে না, এমন একটি সমস্যা যা সফটওয়্যারটি উন্মুক্ত উৎসের হলে বিদ্যমান থাকত না। এই কোড ব্যবহারের মাধ্যমে, ম্যাকিনটোশ ব্যবহারকারীরা নিজেরাই সফটওয়্যারটি আপডেট করতে পারবেন এবং তাদের পছন্দের কম্পিউটারে চালানোর জন্য ব্রাউজারগুলো আপডেট করার পদ্ধতিগুলো বের করতে পারবেন। এই বিশেষ উদাহরণে, মনে হচ্ছে একটি উন্মুক্ত উৎসের ব্রাউজার থাকা বৃহত্তর দর্শকদের কাছে পৌঁছানোর ক্ষেত্রে আরও উপকারী।
==== ফায়ারফক্সের আধিপত্য এবং পতন ====
২০০৪ সালের শেষের দিকে, [[মোজিলা|মজিলা]] ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে মজিলা ফায়ারফক্স প্রকাশ করে। এটি সম্পূর্ণরূপে উন্মুক্ত উৎসের ওয়েব ব্রাউজার। এটি এর গতি, নিরাপত্তা এবং ব্রাউজার এক্সটেনশনের মতো নতুন বৈশিষ্ট্যগুলোর জন্য ব্যাপক প্রশংসা লাভ করে, যাকে অ্যাড-অনও বলা হয়। অধিকন্তু, উন্মুক্ত উৎসের ইন নেচার হওয়ায় ফায়ারফক্স ব্যবহারকারীদের ইন্টারনেটের সাথে কীভাবে যোগাযোগ করা যায় সে সম্পর্কে আরও স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছিল। এটি মজিলা ম্যানিফেস্টোর দ্বিতীয় দাবি "ইন্টারনেট একটি বিশ্বব্যাপী পাবলিক রিসোর্স যা উন্মুক্ত এবং প্রাপ্যতাযোগ্য থাকা উচিত" দ্বারা সবচেয়ে ভালোভাবে অনুমান করা হয়েছে। <ref>https://www.mozilla.org/en-GB/about/manifesto/</ref>
একটি উন্মুক্ত উৎসের ব্রাউজার হিসেবে, ফায়ারফক্স তৃতীয় পক্ষের ডেভেলপমেন্ট থেকে উপকৃত হয়, বিশেষ করে অ্যাড-অনগুলোর মাধ্যমে যা ব্যবহারকারীদের ব্রাউজারটি কীভাবে কাজ করে তা নিয়ন্ত্রণ করতে দেয়। ফায়ারফক্সের কোড সকলের জন্য উপলব্ধ হওয়ার সাথে সাথে, গ্রাহকদের তাদের ব্রাউজিং অভিজ্ঞতায় ইচ্ছামত বৈশিষ্ট্য যোগ করার জন্য এক্সটেনশন তৈরি করার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল, যেমন অ্যাডব্লকের মতো এক্সটেনশন ব্যবহার করে অবাঞ্ছিত বিজ্ঞাপন অপসারণ করা। আরও সুন্দরভাবে, ফায়ারফক্স কাস্টম ব্যবহারকারী থিমগুলোকেও সমর্থন করেছিল। এটি ব্যবহারকারীদের ব্রাউজারের চেহারা এবং রঙের স্কিম পরিবর্তন করার সুযোগ দেয়। এটি আরও উপযুক্ত ব্রাউজিং অভিজ্ঞতা তৈরি করে। নিরাপত্তা সমস্যার সমাধান দ্রুত খুঁজে পাওয়া যায় এবং উন্মুক্ত উৎসের প্রোগ্রামগুলো আরও সুরক্ষিত হওয়ার সাথে সাথে, ফায়ারফক্স তাৎক্ষণিকভাবে জনপ্রিয়তা অর্জন করে, বিশেষ করে তার প্রধান প্রতিযোগী ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার ৬-এর তুলনায়।
তবে ফায়ারফক্সের পরিষেবা হিসেবে একটি প্রধান সমস্যা হলো আপডেট এবং এর মধ্যে থাকা বিষয়বস্তুর ক্ষেত্রে এর নির্ভরযোগ্যতা। ফায়ারফক্সের অনেক আপডেটই ছোটখাটো প্রকৃতির এবং সম্প্রদায়-ভিত্তিক হওয়ায়, গ্রাহকদের আগ্রহের জন্য খুব কমই নতুন, বৃহৎ পরিসরের বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এর ফলে ফায়ারফক্স ব্যবহারকারীদের একটি নিবেদিতপ্রাণ সম্প্রদায় তৈরি হয়। কিন্তু নতুন ব্যবহারকারীর সংখ্যা কম হয়। যদিও ফায়ারফক্সের স্থিতিশীলতা ধারাবাহিকভাবে ভালো রয়ে গেছে, ছোটখাটো সম্প্রদায়-চালিত বাগ সংশোধনের বাইরে প্রভাবশালী উন্নতির অভাবের ফলে এর ব্যবহারের পরিসংখ্যান কিছুটা স্থবির হয়ে পড়েছে। <ref>http://www.digitaltrends.com/computing/internet-explorer-chrome-and-firefox-market-share-for-october/</ref>
==== গুগল ক্রোমের উত্থান ====
২০০৮ সালে গুগল তাদের নিজস্ব ওয়েব ব্রাউজার, গুগল ক্রোম দিয়ে ব্রাউজার যুদ্ধে প্রবেশ করে। মুক্তি পাওয়ার পর থেকে, ক্রোমের জনপ্রিয়তা কেবল বৃদ্ধি পেয়েছে, বর্তমানে এটি বাজারে আধিপত্য বিস্তার করেছে এবং ফেব্রুয়ারি ২০১৬ পর্যন্ত মোট ব্যবহারের ৪৭.৭৭% ব্যবহার রয়েছে। গুগল ক্রোম একটি ফ্রিওয়্যার, যার অর্থ এর কিছু উপাদান রয়েছে যা প্রকৃতিগতভাবে মালিকানাধীন, তবে এর বেশিরভাগ কোডই ওপেন সোর্স। এর জনপ্রিয়তার পেছনে অনেক বৈশিষ্ট্য রয়েছে, এর সহজলভ্য, ন্যূনতম ইন্টারফেস এবং গতি মাত্র কয়েকটি।
উন্মুক্ত উৎসের হওয়ায় ফায়ারফক্সের মতোই ক্রোম উপকৃত হয়েছে, ঘন ঘন আপডেট, থিম এবং ব্রাউজার এক্সটেনশনের মতো বৈশিষ্ট্যগুলো ক্রোম ব্যবহারকারীদের জন্য উপলব্ধ। যদিও ফায়ারফক্সের উন্মুক্ত উৎসের প্রকৃতি এটিকে প্রাথমিকভাবে জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি করেছিল, একই রকম বৈশিষ্ট্য এবং সুপরিচিত আইটি কোম্পানি গুগলের সাথে সংযোগ ক্রোমকে তার আধিপত্য প্রতিষ্ঠার জন্য প্রয়োজনীয় রিলিজের সময় তা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করেছিল। [[ক্রোমিয়াম (ওয়েব ব্রাউজার)|ক্রোমিয়াম]] ক্রোমের সোর্স কোডে সহজে প্রাপ্যতাের সুযোগ করে দেওয়ার ফলে, ইচ্ছুকদের আউটসোর্সিং করে ক্রোমের জন্য লিনাক্স এবং ম্যাক ওএস এক্স পোর্টের কিছু ডেভেলপমেন্ট কাজ সহজ করা হয়েছে। <ref>http://arstechnica.com/information-technology/2008/09/google-unveils-chrome-source-code-and-linux-port/</ref> এর ফলে গুগলকে ইউজার ইন্টারফেস উন্নত করার এবং ব্রাউজারের আরও ভালো বিজ্ঞাপন দেওয়ার মতো বৈশিষ্ট্যগুলোতে মনোনিবেশ করার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছিল, এই সুযোগটি কাজে লাগিয়ে যে সার্চ ইঞ্জিন গুগল তাদের ব্রাউজার প্রচারের জন্য একটি সাধারণভাবে ব্যবহৃত পরিষেবা ছিল। তাদের কোডের ওপেন সোর্সিংয়ের মাধ্যমে ঘন ঘন আপডেটের সুযোগ দেওয়া হয় এবং নির্ভরযোগ্য এবং দ্রুত পরিষেবা পাওয়া যায়, তাই গুগল ক্রোম কেন জনপ্রিয়তার দিক থেকে এগিয়ে চলেছে তা স্পষ্ট।
'''http://www.telegraph.co.uk/technology/news/9163335/Whats-behind-the-rise-of-Google-Chrome.html'''
== উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যার কী? ==
উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যার (OSS) হলো গ্নু এবং Linux এর মতো প্রোগ্রাম যা প্রোগ্রামারদের নির্দিষ্ট সফটওয়্যার সম্পাদনা এবং উন্নত করার জন্য সোর্স কোড পরিবর্তন করতে দেয়। মুইর তার উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যার বইয়ে OSS কে "প্রকৃত সোর্স কোডে প্রাপ্যতা" হিসেবে সংজ্ঞায়িত করেছেন। এটি প্রায়ই গ্নু পাবলিক লাইসেন্সের অধীনে পাওয়া যায়। এটি প্রোগ্রামারদের সফটওয়্যার পরিবর্তন করতে এবং এটি পুনরায় বিতরণ করতে দেয়, এই প্রয়োজনে যে তারা এই পরিবর্তনগুলো অন্যান্য ডেভেলপারদের কাছে উপলব্ধ করে।" <ref>Muir, Scott P, and Leggott, Mark, eds. Open Source Software. Bradford, GBR: Emerald Group Publishing Ltd, 2005. ProQuest ebrary. Web. 5 March 2016</ref> এটিকে বিনামূল্যের সফটওয়্যার হিসাবেও পরিচিত করা যেতে পারে তবে আমি এই বাক্যাংশটি থেকে দূরে থাকব কারণ এটি 'মুক্ত বাকস্বাধীনতা'র পরিবর্তে 'মুক্ত জিনিস' ধারণার মতো বিনামূল্যের কথা উল্লেখ করে।
=== ওএসএসের ইতিহাস ===
ধারণা করা হয় যে UNIVAC ('ইউনিভার্সাল অটোমেটিক কম্পিউটার'-এর সংক্ষিপ্ত রূপ) প্রথম উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যার, 'A-2 সিস্টেম' তৈরি করেছিল। এটি ১৯৫৩ সালে তৈরি করা হয়েছিল এবং সেই বছরের শেষ নাগাদ বিতরণ করা হয়েছিল। পণ্যটিতে সোর্স কোডও অন্তর্ভুক্ত ছিল যা ব্যবহারকারীদের প্রদান করা হয়েছিল যাতে তারা (যদি তারা ইচ্ছা করে) পণ্যের উন্নত সংস্করণগুলো UNIVAC-তে ফেরত পাঠাতে পারে <ref>Peter Cohan. (2009). Back to the 1970s: IBM in mainframe antitrust suit again. Retrieved march/3rd, 2016, from http://www.dailyfinance.com/2009/10/09/back-to-the-1970s-ibm-in-mainframe-antitrust-suit-again/</ref> ১৯৬০-এর দশকের আগের যুগে এটা বলা নিরাপদ ছিল যে বেশিরভাগ প্রোগ্রাম বিনামূল্যে ছিল। তবে এগুলো বিনামূল্যে ছিল না কারণ সফটওয়্যার ডেভেলপাররা গ্রাহকদের বাগ ঠিক করতে এবং পণ্যের উন্নতি ফেরত পাঠাতে সাহায্য করার ধারণাটি পছন্দ করেছিলেন যাতে পণ্যটি আরও ভালোভাবে তৈরি করা যায় (যদিও ইউনিভ্যাকের A-2 সিস্টেমটি এর দ্বারা চালিত হয়েছিল) কিন্তু কারণ সেই সময়ে প্রযুক্তি ছিল ভীতিকর এবং খুবই ভয়ঙ্কর। এর আংশিক কারণ ছিল সেই সময়ে সায়েন্স ফিকশন সিনেমার প্রযোজনাগুলোকে ভৌতিক হিসেবে দেখা হত। মানুষের মনে একটা বিরাট ভয় ছিল,যদি কোম্পানিগুলো তাদের কাজের ব্যাপারে স্বচ্ছ না হয়, তাহলে মানুষ পেছনের দরজা দিয়ে বেরিয়ে যাবে, ফলে হ্যাক করা সহজ হবে।
সময়ের সাথে সাথে প্রযুক্তি অনেক উন্নত হতে শুরু করে, এর ফলে প্রতিযোগীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পায় এবং দামও বৃদ্ধি পায়। তবে প্রতিযোগীদের সংখ্যা বৃদ্ধির অর্থ হলো নোংরা কৌশলের প্রবর্তন। এই বাজারটি একসময় একটি অলিগোপলি ছিল এবং আইবিএমের মতো কোম্পানিগুলো এটিকে এভাবেই রাখতে চাইত। ১৯৬৯ সালে কম্পিউটার বাজারের এই বৃহৎ খেলোয়াড়টির বিরুদ্ধে প্রতিযোগিতামূলক মূল্য নির্ধারণের জন্য একটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। <ref>Hopper, Grace. "Keynote Address". Proceedings of the ACM SIGPLAN History of Programming Languages (HOPL) conference</ref>
=== ওএসএস-এর সমালোচনা ===
সময়ের সাথে সাথে OSS মালিকানাধীন সফটওয়্যারের চেয়ে বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এর মূল কারণ হলো এটি বিনামূল্যে, যেখানে মালিকানাধীন সফটওয়্যারের জন্য মানুষকে অর্থ প্রদান করতে হয়। তবে এটি একটি অলাভজনক সম্প্রদায় দ্বারা তৈরি হওয়ায় এর বেশ কিছু অসুবিধা রয়েছে। মালিকানাধীন সফটওয়্যারের তুলনায় OSS ব্যবহারের অনেক সুবিধা রয়েছে। ব্যবসার জন্য প্রধান সুবিধা হলো উন্মুক্ত উৎসের হলো বাজারে প্রবেশের ক্ষেত্রে ব্যবসার জন্য আরও বেশি সাফল্য অর্জনের একটি ভালো উপায়। যখন কোনও কোম্পানি OSS ব্যবহারের পরিকল্পনা করে, তখন তারা এমন পণ্য প্রতিষ্ঠা করতে পারে যা নির্ভরযোগ্য, উচ্চমানের এবং শিল্পের মানদণ্ডের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ, যার অর্থ তারা প্রতিদ্বন্দ্বী কোম্পানিগুলোর উপর এগিয়ে থাকতে পারে। এটিকে আরও নির্ভরযোগ্য বলে মনে করা হয় কারণ এতে অনেক স্বাধীন প্রোগ্রামার (যেমন লিনাক্স) সহযোগিতা করতে পারে এবং সাধারণ প্রকাশের আগে এর বাগ এবং সমস্যাগুলো খুঁজে বের করতে পারে। রেনল্ডস, <ref>Carl; Jeremy Wyatt (February 2011). "Open Source, Open Standards, and Health Care Information Systems". JMIR 13. doi:10.2196/jmir.1521</ref> OSS এর আরেকটি সুবিধা এবং অনেক নতুন প্রযুক্তি সংস্থা এটি ব্যবহারের অন্যতম কারণ হলো এটি সস্তা এবং ব্যবহার করা সহজ। মালিকানাধীন সফটওয়্যারের বিপরীতে যেখানে ব্যয়বহুল গবেষণা এবং উন্নয়ন করতে হয়।
OSS ব্যবহারের ফলে একটি কোম্পানি তাদের ব্যবহৃত প্রযুক্তির সাথে আরও নমনীয় হতে পারে। এর ফলে একটি ব্যবসা বাজারে দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানাতে পারে এবং দ্রুত উদ্ভাবন অর্জন করতে পারে। এটি একটি ক্রমাগত অগ্রগতিশীল প্রযুক্তিগত বিশ্বে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। OSS কৌশল ব্যবহারের মাধ্যমে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান অ্যাপল এবং মাইক্রোসফটের মতো বৃহৎ কোম্পানির বিরুদ্ধে সুযোগ পায় কারণ এটি সস্তা। <ref>Sharma, Srinarayan; Vijayan Sugumaran; Balaji Rajagopalan (2002). "A framework for creating hybrid-open source software communities"</ref> OSS-এর আরেকটি সুবিধা হলো, সফটওয়্যারের ডেভেলপাররা তাদের নিজস্ব সফটওয়্যারের মতো ক্ষমতায়িত বোধ করবে, যার অর্থ তারা আরও ভালোভাবে তৈরি পণ্য তৈরি করবে কারণ একজন কর্মী তাদের নিজস্ব তৈরিতে কাজ করার জন্য আরও বেশি অনুপ্রাণিত বোধ করবে। এই মালিকানার বোধের কারণে পণ্য এবং কোম্পানির প্রতি আনুগত্য তৈরি হয়। OSS ব্যবহারকারীদের যদি দক্ষ এবং কম্পিউটারে দক্ষ হন, তাহলে বিরক্তিকর বাগ ঠিক করার জন্য পরবর্তী প্যাচের জন্য অপেক্ষা করতে হবে না।
সামগ্রিকভাবে, OSS ব্যবহার আপনার ব্র্যান্ড এবং এর অর্থ কী তা সংজ্ঞায়িত করতে সাহায্য করে। OSS কে ব্র্যান্ডগুলোর জন্য একটি ইতিবাচক ভাবমূর্তি হিসেবে দেখা হয় কারণ এটি ভেন্ডর লক-ইন (যা মালিকানাধীন লক-ইন নামেও পরিচিত) বা প্যাচের জন্য চার্জিংয়ের ধারণার বিরুদ্ধে দাঁড়ায়। যেসব কোম্পানি OSS ব্যবহার করে তারা সাধারণত ব্যবসায়িক পরিভাষা 'কাইজেন' (ক্রমাগত উন্নতি) তে বিশ্বাস করে, যার অর্থ তারা সর্বদা তাদের মূল্যবান গ্রাহকের কাছে আরও ভালো পণ্য সরবরাহ করতে চায়। এটি এই ধারণার প্রতিনিধিত্ব করে যে প্রযুক্তি মুক্ত হওয়া উচিত। আমাদের সবসময় প্রিমিয়াম মূল্য পরিশোধ করতে হবে না।
বেশিরভাগ জিনিসের মতো অনেক দুর্দান্ত সুবিধার সাথে সাথে কিছু অসুবিধাও থাকতে হবে এবং OSSও এর থেকে আলাদা নয়। গ্রাহকদের চাহিদা শোনার জন্য ডেভেলপারদের উপর বাণিজ্যিক চাপের অভাব রয়েছে। এর অর্থ হলো তারা এমন সফটওয়্যার তৈরি করবে যা গ্রাহকদের চেয়ে তাদের চাহিদা অনুসারে তৈরি করা হবে। পণ্যের গুণমান এতে কাজ করা প্রোগ্রামারদের ধরণের দ্বারাও প্রভাবিত হতে পারে। কারণ OSS-এর সাফল্য অনেকটাই দলীয় কাজের উপর নির্ভর করে। সফটওয়্যারটিতে কাজ করা কিছু প্রোগ্রামারের বিভিন্ন লক্ষ্য থাকতে পারে, সফটওয়্যার সম্পর্কে ধারণা থাকতে পারে যা একে অপরের সাথে সাংঘর্ষিক হতে পারে। ইজেল এবং সোর্সএক্সচেঞ্জের মতো বেশ কয়েকটি ওএসএস প্রকল্পে এটি ঘটেছে। <ref>Sharma, Srinarayan; Vijayan Sugumaran; Balaji Rajagopalan (2002). "A framework for creating hybrid-open source software communities"</ref> বড় কোম্পানিগুলো উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যার ব্যবহার না করার একটি প্রধান কারণ হলো নিরাপত্তা ঝুঁকি। সোর্স কোড দেখানো হলে নিরাপত্তার দুর্বলতা দেখা যাবে যা ত্রুটি খুঁজে বের করা সহজ করে তুলতে পারে। বৃহৎ পরিসরে OSS প্রকল্পের ক্ষেত্রে এটি তেমন একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়, তবে একক ব্যক্তির প্রকল্পের ক্ষেত্রে বড় ধরনের নিরাপত্তা ঝুঁকি থাকতে পারে।
উন্মুক্ত উৎসের ব্যবহারের ফলে একই ধরণের জিনিসের ক্লোন তৈরি হয়। এর একটি ভালো উদাহরণ হলো মোবাইল গেম ফ্ল্যাপি বার্ড। যখন এটি সফল হয়, তখন আমরা অ্যান্ড্রয়েডে অনেক অনুরূপ কপি দেখতে পাই। যেখানে ক্লোজড সোর্স সফটওয়্যারের তাদের সফটওয়্যারে কী লাগানো হবে তার উপর বেশি নিয়ন্ত্রণ থাকে <ref>Joab Jackson. Open source vs. proprietary software. Retrieved March/4th, 2016, from http://www.pcworld.com/article/243136/open_source_vs_proprietary_software.html</ref> এর ফলে অনেক OSS প্রকল্প ক্লোন করা হয়। এর ফলে গ্রাহক নিম্নমানের সফটওয়্যারের চাপে পড়ে যান এবং ভালো সফটওয়্যার থেকে বঞ্চিত হন।
ডেভেলপাররা এতে যোগ এবং পরিবর্তন করার সাথে সাথে OSS বাস্তব সময়ে বিকশিত হতে থাকে, যার অর্থ এটি আরও উন্নত মানের হতে পারে। OSS এর সাথে সম্পর্কিত একটি সাধারণ ভুল ধারণা হলো যে এটি মালিকানাধীন সিস্টেমের তুলনায় বেশি নিরাপদ এবং ভাইরাসের ঝুঁকি কম কারণ এর বিপুল সংখ্যক ব্যবহারকারী রয়েছে যারা যেকোনো সমস্যা সমাধানের জন্য সেখানে উপস্থিত থাকে। যদিও এটি সত্য হতে পারে, তবে এটি অগত্যা এটিকে সহজাতভাবে নিরাপদ করে তোলে না। লোকেরা কোডটি দেখে। এর ফলে নিরাপত্তার দুর্বলতাগুলো সহজেই ধরা পড়ে। OSS নিরাপত্তার উপর একটি তদন্তে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে যে OSS কোডকে দৃশ্যমান করে তোলে, তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই, উৎস দৃশ্যমানতা একটি নির্দিষ্ট প্রকল্পের জন্য সৃষ্ট সামগ্রিক নিরাপত্তা ঝুঁকি বাড়াতে খুব কমই সাহায্য করে। নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা জানিয়েছেন,বেশিরভাগ পরিস্থিতিতে, উৎসের দৃশ্যমানতা প্রকল্পের স্থিতিশীলতা এবং নিরাপদ অবস্থার সম্মতিতেও সহায়তা করতে পারে।
<u>সফটওয়্যার</u> সবকিছুই একটি একক অপারেটিং সিস্টেম ইউনিক্স থেকে আসে, মূলত এটি IOS10 সহ ম্যাকের IOS সিস্টেমের ভিত্তি স্থাপন করে। এটি মূলত কোড লেখার পরিবর্তে একটি আগে থেকে তৈরি অপারেটিং সিস্টেম। যদিও এটি প্রায় প্রতিটি অপারেটিং সিস্টেমের ভিত্তি তৈরি করে, এটি খুবই 'বন্ধ'। কিন্তু এটি এই তত্ত্বের পরিপন্থী যে সবাই চায় সবকিছু উন্মুক্ত থাকুক এবং ভাগ করে নেওয়া হোক যাতে আপনি আপনার চাহিদা অনুযায়ী সফটওয়্যারটি সম্পাদনা এবং তৈরি করতে পারেন।
সহজ কথা হলো, সকলেই তাদের চাহিদা অনুযায়ী সফটওয়্যার সম্পাদনা এবং পরিচালনা করতে চায় না। এটা তাদের জন্য খুব জটিল হতে পারে অথবা তারা হয়তো আগ্রহী নাও হতে পারে। কিছু ব্যক্তি কেবল একটি সাধারণ কাজের জন্য কম্পিউটার ব্যবহার করতে চান এবং লগ ইন এবং CLU ব্যবহারের ঝামেলা মোকাবেলা করতে চান না। এই ক্ষেত্রে একটি GUI, গ্রাফিক্যাল ইউজার ইন্টারফেসই যথেষ্ট। এটি দ্রুত, সহজ এবং ব্যবহার করা সহজ। ব্যবহারকারী কী চায় তা আপনাকে বিবেচনা করতে হবে। তারা কি অফুরন্ত কোডিং চায় নাকি মেকানিক্স চায়, তবে কি এটা উন্মুক্ত নাকি বাণিজ্যিকীকরণ করা হবে?
== মালিকানাধীন সফটওয়্যার ==
=== ভূমিকা ===
মালিকানাধীন সফটওয়্যার হলো এমন সফটওয়্যার যা আইনত সম্পূর্ণরূপে এর স্রষ্টা বা স্রষ্টাদের মালিকানাধীন। সাধারণত, মালিকানাধীন সফটওয়্যারের সোর্স কোড দেখার ক্ষমতা এবং এর পরিবর্তনের উপর খুব কঠোর বিধিনিষেধ থাকে। এই সীমাবদ্ধতার কারণে, ব্যবহারকারীর প্রয়োজন অনুসারে প্রোগ্রামটি পরিবর্তন বা সংশোধন করার ক্ষমতা সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ। এই ধরণের সফটওয়্যার (যদিও কখনও কখনও বিনামূল্যে) সাধারণত শুধুমাত্র একটি ফি দিয়ে পাওয়া যায় এবং শুধুমাত্র লাইসেন্সপ্রাপ্ত কী হোল্ডাররা এর উদ্দেশ্যে সফটওয়্যারটি ব্যবহার করতে পারেন।
মালিকানাধীন সফটওয়্যার লাইসেন্স এবং লাইসেন্স চুক্তির মাধ্যমে ব্যবহৃত হয়। ডগলাস ই ফিলিপস তার "সফটওয়্যার লাইসেন্স উন্মোচিত" বইতে রূপরেখা দিয়েছেন : লাইসেন্স আইন কীভাবে সফটওয়্যার প্রাপ্যতা নিয়ন্ত্রণ করে", <ref>Phillips, DE 2009, Software License Unveiled : How Legislation by License Controls Software Access, Oxford University Press, USA, Cary, NC, USA. Available from: ProQuest ebrary. [6 March 2016].</ref> সমস্ত ব্যবহারকারী লাইসেন্স চুক্তি অনুসরণ করে এমন নির্দিষ্ট নির্দেশিকা।
এর মধ্যে রয়েছে:- "আপনি হয়তো ভেবেছেন যে আপনি কিছু কিনেছেন। কিন্তু আপনি তা করেননি। সফটওয়্যারটি লাইসেন্সপ্রাপ্ত, বিক্রি করা হয়নি।"
"আপনি এখন একটি সফটওয়্যার কোম্পানির সাথে একটি চুক্তির পক্ষ। লাইসেন্সটি আপনার এবং সফটওয়্যার প্রদানকারীর মধ্যে একটি আইনত বাধ্যতামূলক চুক্তি।"
"যদি এটি না বলে যে আপনি এটি করতে পারবেন, তাহলে আপনি পারবেন না। সফটওয়্যার প্রদানকারী আপনাকে সফটওয়্যারটি ব্যবহারের সুযোগ দেয়। কিন্তু আপনি এমন কিছু করতে পারবেন না যা লাইসেন্স স্পষ্টভাবে সুযোগ দেয় না। অবশ্যই, আপনাকে এমন কিছু করা থেকেও বিরত থাকতে হবে যা এটি স্পষ্টভাবে নিষিদ্ধ করে। উদাহরণস্বরূপ, আপনি একবারে একাধিক ব্যক্তিকে সফটওয়্যারটি ব্যবহার করতে দিতে পারবেন না; এটি পুনরায় বিক্রয় বা বিপরীত প্রকৌশলী করতে পারবেন; অথবা, যদি সফটওয়্যারটি একটি নির্দিষ্ট ধরণের শেষ ব্যবহারকারীর জন্য মনোনীত করা হয়, তাহলে সেই ধরণের শেষ ব্যবহারকারী না হয়ে এটি ব্যবহার করুন।"
"যদি আপনি এমন কিছু করেন যা এটি বলে না যে আপনি করতে পারবেন (অথবা বলে যে আপনি করতে পারবেন না), তাহলে আপনি সফটওয়্যারটি একেবারেই ব্যবহার করতে পারবেন না। সফটওয়্যারটি ব্যবহারের জন্য আপনার অনুমতি লাইসেন্স চুক্তির সমস্ত শর্তাবলী মেনে চলার উপর নির্ভরশীল, যার মধ্যে আপনার ব্যবহারকে সীমাবদ্ধ করে এমন সমস্ত শর্তাবলীও অন্তর্ভুক্ত। ফলস্বরূপ, যেকোনো শর্ত লঙ্ঘনের ফলে আপনার সমস্ত লাইসেন্স অধিকার নষ্ট হতে পারে এবং আপনি কেবল চুক্তি ভঙ্গকারীই নন, বরং কপিরাইট লঙ্ঘনকারীও হয়ে ওঠেন।"
"যদি সফটওয়্যার কোম্পানি কিছু করতে চায়, তাহলে তা করতে পারে। আপনি সফটওয়্যার প্রদানকারীকে সফটওয়্যারে পণ্য সক্রিয়করণ, পণ্য যাচাইকরণ এবং স্বয়ংক্রিয় আপডেট ফাংশন অন্তর্ভুক্ত করার জন্য নিঃশর্ত অনুমতি দেন। এই ফাংশনগুলো সফটওয়্যারে আপনার প্রাপ্যতাকে প্রভাবিত করতে পারে, এবং সম্ভাব্যভাবে আপনার কম্পিউটারে, এবং সফটওয়্যার এবং আপনার কম্পিউটার সম্পর্কে তথ্য সফটওয়্যার প্রদানকারীর কাছে প্রেরণ করতে পারে।"
"যদি সফটওয়্যারে কিছু ভুল হয়ে যায়, তাহলে তা ঠিক করার জন্য সফটওয়্যার কোম্পানির উপর নির্ভর করবেন না। আপনি সম্মত হন যে সফটওয়্যার সরবরাহকারী আপনাকে খুব কম বা কোনও ওয়ারেন্টি দেয় না এবং সফটওয়্যার ত্রুটির জন্য আপনার কাছে খুব কম বা কোনও দায়বদ্ধতা থাকবে না। আপনি আরও সম্মত হন যে সফটওয়্যার তৃতীয় পক্ষের অধিকার লঙ্ঘন করলে আপনার বিরুদ্ধে যে দাবি হতে পারে তার জন্য সফটওয়্যার সরবরাহকারী দায়ী থাকবে না।" (ফিলিপস, ২০০৯)
মুক্ত সফটওয়্যার আন্দোলন ১৯৮৩ সালে শুরু হয়েছিল। এর প্রবর্তনের পর একদল ব্যক্তি "মুক্ত সফটওয়্যার" শব্দটিকে উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যার (OSS) দ্বারা প্রতিস্থাপন করার পক্ষে মত প্রকাশ করেন। এটি কর্পোরেট জগতের ক্ষেত্রে আরও সুবিধাজনক। সফটওয়্যার ডেভেলপাররা তাদের সফটওয়্যারটি একটি উন্মুক্ত উৎসের লাইসেন্স কাঠামোর মধ্যে প্রকাশ করতে চাইতে পারেন যাতে যে কেউ একই সফটওয়্যারটি তৈরি করতে পারে অথবা এর অভ্যন্তরীণ কার্যকারিতা সম্পর্কে আরও ভালভাবে বুঝতে পারে। উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যারের সাহায্যে, যে কেউ এতে পরিবর্তন আনতে, নতুন অপারেটিং সিস্টেম এবং প্রসেসর আর্কিটেকচারে পোর্ট করতে সক্ষম। এটি এটিকে অন্যদের সাথে ভাগ করে নেওয়ার বা কিছু ক্ষেত্রে বাজারজাত করার সুযোগ দেয়।
=== উদাহরণ ===
প্রোপ্রাইটি সফটওয়্যারের সবচেয়ে বেশি ব্যবহারকারীদের মধ্যে একটি হলো [https://www.microsoft.com/en-gb মাইক্রোসফট কর্পোরেশন] । [[উইন্ডোজ এক্সপি]] এবং [[উইন্ডোজ ৮|উইন্ডোজ ৮ এর]] মতো অপারেটিং সিস্টেম থেকে শুরু করে বিশ্বব্যাপী প্রভাবশালী [[মাইক্রোসফট অফিস]] প্রোগ্রাম পর্যন্ত প্রতিটি সফটওয়্যারই সুরক্ষার যথাযথ ব্যবস্থা ব্যবহার করে। মালিকানাধীন প্রোগ্রামগুলোর আরও উদাহরণগুলোর মধ্যে রয়েছে; [http://www.adobe.com/ অ্যাডোবি ফ্ল্যাশ প্লেয়ার], [[আইটিউন্স|আইটিউনস]] এবং [[ম্যাকওএস|ম্যাক ওএস এক্স]] ।
=== সুবিধা ===
মালিকানাধীন সফটওয়্যার ব্যবহারের সুবিধা এবং অসুবিধা উভয়ই রয়েছে। উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যার সিস্টেমের পরিবর্তে মালিকানাধীন সফটওয়্যার সিস্টেম ব্যবহারের সুবিধা হলো যে পণ্যটি ব্যবহার করার সময় আপনার যে কোনও সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে তার জন্য অনেক বেশি নিবেদিতপ্রাণ সহায়তা রয়েছে। যেহেতু মালিকানাধীন সফটওয়্যারটি কোনও কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান দ্বারা তৈরি করা হয় এবং পণ্য হিসেবে বিক্রি করা হয়, তাই কোনও সমস্যা হলে বা সিস্টেম ইনস্টল/সেট আপ করার ক্ষেত্রে যদি তাদের সাহায্যের প্রয়োজন হয়, তাহলে গ্রাহকদের জন্য সর্বদা সহায়তা পাওয়া নিশ্চিত করা কোম্পানির স্বার্থে। এটি উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যার থেকে আলাদা, যেখানে একটি কমিউনিটি সাপোর্ট সিস্টেম বেশি থাকে যেখানে সঠিক সমাধান খুঁজে না পাওয়া পর্যন্ত আপনাকে বিভিন্ন সমাধান অনুসন্ধান করতে হতে পারে। মালিকানাধীন সফটওয়্যার সাধারণত ব্যবসায়িক জগতের চাহিদা পূরণের জন্য এবং বাজারের চাহিদা পূরণের জন্য তৈরি করা হয়। এই কারণে, মালিকানাধীন সফটওয়্যারে প্রায়ই উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যারের তুলনায় বেশি বৈশিষ্ট্য থাকে, উদাহরণস্বরূপ, ওয়ার্ড এবং এক্সেল সহ সমস্ত [[মাইক্রোসফট অফিস]] অ্যাপ্লিকেশনগুলোকে একই সাথে একই কাজে কাজ করার জন্য একসাথে লিঙ্ক করা যেতে পারে।
=== সমালোচনা ===
মালিকানাধীন সফটওয়্যারের একটি প্রধান সমালোচনা হলো যে এই ধরণের সফটওয়্যারের বেশিরভাগই কেবল ক্রয়ের মাধ্যমে পাওয়া যায়। এই ধরণের সফটওয়্যারের দামের পরিসর সস্তা থেকে শুরু করে খুব ব্যয়বহুল পর্যন্ত হতে পারে, উদাহরণস্বরূপ, [[উইন্ডোজ ১০|Windows ১০]] £২৯.৯৯ পর্যন্ত সস্তা হতে পারে। এটি [[অ্যাডোবি ফটোশপ|Adobe Photoshop]] এর মতো অন্যান্য প্রোগ্রামের দাম £২০০০ এ কেনা যাবে। দামের এই পরিসরটি সাধারণ ব্যবহারকারীর জন্য খুবই বিরক্তিকর হতে পারে কারণ একটি কম্পিউটার প্রোগ্রামের জন্য হাজার হাজার পাউন্ড খরচ করা খুবই অযৌক্তিক বলে মনে হয়। মালিকানাধীন সফটওয়্যারের আরও একটি সমালোচনা হলো এর সোর্স কোড দেখতে এবং প্রোগ্রামের কোডিং পরিবর্তন করতে না পারা। ব্যবসায়িক জগতে বিদ্যমান চাহিদা এবং প্রয়োজনীয়তা ক্রমাগত পরিবর্তিত হচ্ছে। এই ক্রমাগত পরিবর্তনশীল পরিবেশের সাথে, মালিকানাধীন সফটওয়্যার প্রায়ই তাদের গ্রাহকদের চাহিদার সাথে তাল মিলিয়ে চলতে পিছিয়ে পড়তে পারে। এটি উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যারের বাজার উন্মুক্ত করে দেয় কারণ ব্যবহারকারীরা চাইলে তাদের উদ্দেশ্য অনুসারে সফটওয়্যারের কার্যকারিতা পরিবর্তন করতে পারেন। মালিকানাধীন সফটওয়্যারে কাস্টমাইজেশন এবং স্ব-উন্নতির অভাবের কারণেই অনেক মানুষ উন্মুক্ত উৎসের সিস্টেম ব্যবহার করতে পছন্দ করে।
=== ওপেন সফটওয়্যার বনাম মালিকানাধীন সফটওয়্যার ===
ওপেন সফটওয়্যার মূলত এমন একটি সফটওয়্যার যা সকলের জন্য বিনামূল্যে এবং প্রাপ্যতাযোগ্য। এটি তাদের চাহিদা পূরণের জন্য প্রোগ্রামটি পরিবর্তন করতে দেয়। এটি অনেক কম্পিউটিং ভক্তদের বিশ্বাস করা অনেক মূল থিম এবং ধারণার একটি অনুসরণ করে। তবে একটি খুব বড় নিরাপত্তা ঝুঁকি রয়েছে এবং ওপেন সফটওয়্যার ব্যবহার করার সময় অনেক লাইসেন্সিং আইন বিবেচনায় নিতে হয়। অন্যদিকে মালিকানাধীন সফটওয়্যার আছে যা অর্থায়ন করা হয় এবং আপনাকে এর জন্য অর্থ প্রদান করতে হবে। এর একটি গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ হলো উইন্ডোজ এক্সপি। প্রায়শই মালিকানাধীন সফটওয়্যার হ্যাকারদের তাদের সিস্টেমে থাকা যেকোনো ত্রুটি বা বাগ কাজে লাগাতে বলে। কিন্তু যখন সমস্যাটি শনাক্ত করা হয়, তখন প্রায়ই তারা এই সমস্যা সমাধানের জন্য কিছু করে না। কারণ এতে অন্যান্য পক্ষের আগ্রহ থাকে। ওপেন সফটওয়্যার খুবই উপকারী কারণ এটি একাধিক ব্যক্তিকে একই জিনিসে একসাথে কাজ করার সুযোগ দেয়, যেমন এই প্রকল্পটি। এটি খুবই কার্যকর, ব্যক্তিদের অন্যদের কাজ পর্যালোচনা করার সুযোগ করে দেওয়ার ফলে আরও সমস্যা চিহ্নিত এবং সমাধান করা হবে। ব্যবহারে খুবই উপকারী, ওপেন সফটওয়্যার আপনাকে একসাথে একাধিক ব্যবহারকারী রাখার সুযোগ দেয়, তবে এটির অপব্যবহার না করা গুরুত্বপূর্ণ। কোনও বাগ-মুক্ত সফটওয়্যার নেই, এটি ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং আরও ভালোর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। প্রোপ্রাইটারি সফটওয়্যারে CLI-এর বিপরীতে GUI এবং ইন্টারঅ্যাকশন বেশি থাকে। এটি সাধারণত ওপেন সফটওয়্যারের সাথে সম্পর্কিত। একটি GUI (গ্রাফিক্যাল ইউজার ইন্টারফেস) মূলত ছবির একটি সিরিজ, একটি মেনু। এটি দ্রুত এবং সহজেই ঘুরে দেখা যায় এবং ব্যবহার করা যায়। এটি এমন ব্যবহারকারীদের জন্য খুবই উপকারী যারা কম্পিউটার শিক্ষিত নন এবং কেবল দ্রুত প্রযুক্তি ব্যবহার করতে চান।
== উন্মুক্ত উৎসের ও মালিকানাধীন সফটওয়্যারের ভবিষ্যৎ ==
উন্মুক্ত উৎসের পূর্ব-বিদ্যমান নকশা এবং ব্লুপ্রিন্টের পরিবর্তন এবং পুনর্বণ্টনকে সর্বজনীনভাবে অবাধে উপলব্ধ করার সুযোগ দেয়। প্রোগ্রামিংয়ের ক্ষেত্রে ওপেন সোর্সের ভবিষ্যৎ নিঃসন্দেহে অনেক প্রোগ্রামার এবং ব্যবসার দ্বারা ব্যবহৃত হতে থাকবে। [http://www.zdnet.com/ ZDNet] দ্বারা পরিচালিত একটি জরিপে দেখা গেছে, ৭৮% কোম্পানি তাদের অনুশীলনে উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যার ব্যবহারের সাথে খাপ খাইয়ে নিয়েছে। এটি একটি স্মরণীয় পদক্ষেপ কারণ ২০১০ সালে "ওপেন সোর্সের ভবিষ্যৎ" জরিপের প্রতিক্রিয়ায়, মাত্র ৪২% কোম্পানি বলেছিল যে তারা OSS ব্যবহার করে। ৯৩% বলেছেন যে গত বছর ধরে ওপেন সোর্সের ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়েছে অথবা স্থির রয়ে গেছে। বর্তমানে, ৬৪% কর্পোরেশন উন্মুক্ত উৎসের প্রকল্পে অংশগ্রহণ করে - যা ২০১৪ সালের তুলনায় ১৪% বেশি। উন্মুক্ত উৎসের প্রকল্পে কোম্পানিগুলোর সম্পৃক্ততার অদূর ভবিষ্যতের পূর্বাভাস ৮৮%-এ উন্নীত হবে বলে আশা করা হচ্ছে <ref>http://www.zdnet.com/article/its-an-open-source-world-78-percent-of-companies-run-open-source-software/</ref>
একজন প্রোগ্রামার হিসেবে উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যারের ভবিষ্যৎ ইতিমধ্যেই তাদের দৈনন্দিন জীবনের অংশ। একজন আধুনিক প্রোগ্রামার হিসেবে, আপনার বর্তমান প্রকল্পগুলোর বেশিরভাগই ইতিমধ্যেই অন্যান্য প্রোগ্রামাররা তাদের বিনামূল্যে উপলব্ধ কোড Github-এর মতো ওয়েবসাইটে রেখে সম্পন্ন করেছেন। এর ফলে ব্যবহারকারীরা এই উন্মুক্ত উৎসের প্রকল্পগুলো ডাউনলোড এবং শেয়ার করতে পারবেন। <ref>https://github.com/github</ref> আজকাল প্রোগ্রামাররা ইতিমধ্যেই করা কোড পুনরায় লিখতে চান না। অদূর ভবিষ্যতে, প্রোগ্রামাররা কেবল উন্মুক্ত উৎসের কোডের কিছু অংশ নেবে এবং সেই প্রকল্পটিকে আরও অনেকের সাথে একত্রিত করে একটি চূড়ান্ত প্রকল্প তৈরি করবে। এটি বিভিন্ন দক্ষতা স্তরের প্রোগ্রামারদের এই উন্মুক্ত উৎসের প্রকল্পগুলো বুঝতে এবং বাস্তবায়ন করতে সাহায্য করে, এছাড়াও প্রোগ্রামারদের একটি প্রকল্প সম্পূর্ণ করার জন্য সময় এবং অর্থ সাশ্রয় করে।
উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যারের ভবিষ্যৎ আমাদের সমাজের প্রযুক্তির অগ্রগতির উপর নাটকীয় প্রভাব ফেলবে। এর একটি উদাহরণ হতে পারে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি হেডসেট, ওকুলাস রিফট। এই হেডসেটের সম্পূর্ণ সোর্স কোড ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে জনসাধারণের জন্য প্রকাশ করা হয়েছিল। <ref>http://www.forbes.com/sites/jasonevangelho/2014/01/10/rumor-oculus-rift-will-launch-summer-2014-for-less-than-499/#fe6788046985</ref> এই হেডসেটটি সম্পূর্ণরূপে উন্মুক্ত উৎসের হওয়ার পর এই পণ্যটির অগ্রগতি অসাধারণ। ২০১৪ সালে ওকুলাস রিফটসের সোর্স কোড প্রকাশের পর এটি স্যামসাং গিয়ার ভার্চুয়াল রিয়েলিটি হেডসেটের মতো নতুন ভার্চুয়াল রিয়েলিটি হেডসেটগুলো বুঝতে এবং তৈরি করতে সহায়তা করেছে। <ref>http://www.samsung.com/uk/consumer/mobile-devices/wearables/gear/SM-R320NPWABTU</ref>
বিল গেটস ১৯৯৪ সালের পর জন্মগ্রহণকারী শিশুদের ইন্টারনেটের সাথে বেড়ে ওঠা প্রথম প্রজন্ম হিসেবে উল্লেখ করেছেন। ১০-১২ বছর বয়সী ৯০% শিশু অনলাইন গেম খেলে। <ref>https://hbr.org/2012/04/the-mobile-re-generation</ref> যেহেতু এই শিশুদের মধ্যে প্রযুক্তি তাদের জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ, তাই এখন অনেক স্কুলে প্রোগ্রামিং শেখানো হচ্ছে। শিশুদের প্রোগ্রামিং দক্ষতা বিকাশের জন্য এখন প্রোগ্রামিং ক্লাব প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। <ref>http://coderdojostirling.com/</ref> এর থেকে বোঝা যায়,প্রযুক্তির ব্যবহার বছরের পর বছর ধরে বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে ওপেন সোর্সের ব্যবহারও বৃদ্ধি পাবে। সকল বয়সের শিশুরা তাদের নিজস্ব আনন্দের জন্য প্রকল্পগুলো সম্পন্ন করার জন্য উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যার ব্যবহার করে। এখন স্কুলে শিশুরা প্রোগ্রামিং শিখছে, তাই অনলাইন ইন্টারেক্টিভ প্রোগ্রামিং ক্লাসগুলো ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। <ref>https://www.codecademy.com/learn</ref> বেশিরভাগ মানুষের কাছে ইন্টারনেট সহজলভ্য হওয়ার সাথে সাথে, এই ইন্টারেক্টিভ প্রোগ্রামিং ক্লাসের ব্যবহার ক্রমশ বৃদ্ধি পাবে। এর অর্থ হলো, যত বেশি মানুষ প্রোগ্রামিং শিখবে, ওপেন সোর্সের ব্যবহার তত বাড়বে।
'উন্মুক্ত উৎসের গ্রাহক এবং ব্যবসার মধ্যে স্বাধীনতা প্রদান করে', <ref>http://open-source.gbdirect.co.uk/migration/benefit.html#flexibilityfreedom</ref> কিছু মালিকানাধীন সফটওয়্যার নমনীয় বলে দাবি করে কিন্তু নমনীয়তা সৃজনশীলতাকে বোঝায় এবং উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যার ব্যবহারের মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা কোনও সীমা ছাড়াই তাদের নিজস্ব প্রয়োজনের জন্য নিজস্ব সফটওয়্যার তৈরি করতে পারে। উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যার ব্যবহারকারীদের নিয়ন্ত্রণে থাকতে, তাদের নিজস্ব সিদ্ধান্ত নিতে এবং তারা যা চায় তা করতে সাহায্য করে। <ref>http://www.pcworld.com/article/209891/10_reasons_open_source_is_good_for_business.html</ref> আজকাল মানুষ জানে তারা কী চায় এবং কীভাবে তারা কাজ করতে চায়, এবং প্রযুক্তি আমাদের জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে ওঠার সাথে সাথে উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যারের ব্যবহারও বৃদ্ধি পাবে।
মানুষ এমন ব্যক্তি যারা নিজের সিদ্ধান্ত নিতে এবং স্বাধীনভাবে কাজ করতে পছন্দ করে এবং উন্মুক্ত উৎসের এই ধারণাকে সম্পূর্ণরূপে সমর্থন করে। ওপেন সোর্সের ভবিষ্যৎ খুবই ইতিবাচক দেখাচ্ছে; বর্তমানে এটি ইতিমধ্যেই প্রযুক্তিগত জীবনযাত্রার একটি সমন্বিত অংশ। সাধারণত, আজকাল উৎপাদিত প্রতিটি সফটওয়্যারের উন্নয়নে উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যার ব্যবহার করা হয়। বছরের পর বছর ধরে প্রযুক্তিগত অগ্রগতি উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যার ব্যবহারের দ্বারা ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হয়েছে। কারণ প্রতিটি প্রোগ্রামারের হাতে বিশাল ডেভেলপার রয়েছে। এছাড়াও ১৯৯৪ সালের পরে জন্ম নেওয়া শিশুদের দৈনন্দিন জীবনে এখন প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু হয়েছে, তাদের ছোটবেলা থেকেই প্রোগ্রামিং শেখানো হচ্ছে এবং ব্যক্তিরা অনলাইনে ইন্টারেক্টিভ প্রোগ্রামিং ক্লাসেও অংশগ্রহণ করছে। প্রযুক্তির ক্রমাগত অগ্রগতি এবং ব্যবহারের সাথে সাথে এটি অনিবার্য যে সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্টের ক্ষেত্রে উন্মুক্ত উৎসের ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হবে কারণ এর অনেক সুবিধা রয়েছে। ভবিষ্যতেও উন্মুক্ত উৎসের ব্যবহার অব্যাহত থাকবে, তবে উন্মুক্ত উৎসের ইতিমধ্যেই প্রযুক্তিগত উন্নয়নের একটি সমন্বিত অংশ। '''ভবিষ্যৎ এখানেই।'''
== শব্দকোষ ==
== শব্দকোষ ==
সমস্ত শর্তাবলী ইন্টারনেট অফ এভরিথিংয়ের উপরের অধ্যায় থেকে নেওয়া হয়েছে। সমস্ত সংজ্ঞা উইকিপিডিয়া এবং অক্সফোর্ড অভিধান থেকে নেওয়া হয়েছে।
4Chan 4chan একটি ইংরেজি ভাষার ইমেজ বোর্ড ওয়েবসাইট। ব্যবহারকারীরা সাধারণত বেনামে পোস্ট করেন, সাম্প্রতিকতম পোস্টগুলি বাকিগুলির উপরে প্রদর্শিত হয়। 4chan তাদের নিজস্ব নির্দিষ্ট সামগ্রী এবং নির্দেশিকা সহ বিভিন্ন বোর্ডে বিভক্ত। রেজিস্ট্রেশনের প্রয়োজন হয় না, বা এটি সম্ভব নয় (স্টাফ ব্যতীত)।
অ্যান্ড্রয়েড একটি অপারেটিং সিস্টেমের নাম, প্রধানত ম্যাক নয় এমন ডিভাইসগুলিতে ব্যবহৃত হয়।
অনামী অ্যানোনিমাস অ্যাক্টিভিস্ট এবং হ্যাক্টিভিস্ট সত্তাগুলির একটি আলগাভাবে যুক্ত আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক। এই গোষ্ঠীর সাথে নামমাত্র যুক্ত একটি ওয়েবসাইট এটিকে "একটি ইন্টারনেট সমাবেশ" হিসাবে বর্ণনা করে "একটি খুব আলগা এবং বিকেন্দ্রীভূত কমান্ড কাঠামো যা নির্দেশের পরিবর্তে ধারণার উপর কাজ করে"
লেখক লেখার পেশা, লেখার উৎস (লেখক হিসাবে) লেখা, সঙ্গীত বা শিল্পের একটি অংশ।
ক্রিয়েটিভ কমন্স ক্রিয়েটিভ কমন্স একটি অলাভজনক সংস্থা যা বিনামূল্যে আইনি সরঞ্জামগুলির মাধ্যমে সৃজনশীলতা এবং জ্ঞান ভাগ করে নেওয়া এবং ব্যবহার সক্ষম করে।
জ্ঞানীয় লোড ওয়ার্কিং মেমরিতে ব্যবহৃত মানসিক প্রচেষ্টার পরিমাণ।
কাস্টমাইজেবিলিটি আপনাকে আপনার প্রয়োজন অনুসারে কিছু কাস্টমাইজ এবং সম্পাদনা করার অনুমতি দেওয়ার কাজ।
ডারউইন উন্মুক্ত উৎসের ইউনিক্স অপারেটিং সিস্টেম যা অ্যাপল দ্বারা নির্মিত এবং ২০০০ সালে মুক্তি পায়।
বিকেন্দ্রীকরণ একটি কেন্দ্রীয় অবস্থান বা কর্তৃপক্ষ থেকে দূরে ফাংশন, ক্ষমতা, মানুষ বা জিনিস পুনরায় বিতরণ বা ছড়িয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া।
ডিজিটাল রাইটস ম্যানেজমেন্ট (DRM) বিভিন্ন প্রাপ্যতা কন্ট্রোল প্রযুক্তি যা মালিকানাধীন হার্ডওয়্যার এবং কপিরাইটযুক্ত কাজগুলির ব্যবহার সীমাবদ্ধ করতে ব্যবহৃত হয়।
একটি নির্দিষ্ট শাসক বা সরকার দ্বারা মালিকানাধীন বা নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলের একটি এলাকা ডোমেন
গুটেনবার্গ ছাপাখানার স্রষ্টা।
হ্যাকার একজন ব্যক্তি যিনি ডেটাতে অননুমোদিত প্রাপ্যতা অর্জনের জন্য কম্পিউটার ব্যবহার করেন।
হ্যাক্টিভিজম হ্যাক্টিভিজম হ'ল রাজনৈতিক বা সামাজিকভাবে অনুপ্রাণিত উদ্দেশ্যে হ্যাকিং বা কম্পিউটার সিস্টেমে প্রবেশ করার কাজ। যে ব্যক্তি হ্যাক্টিভিজমের কাজ করে তাকে হ্যাক্টিভিস্ট বলা হয়।
হার্ডওয়্যার বস্তু যা বাস্তব। এটি আপনি শারীরিকভাবে স্পর্শ করতে এবং সরাতে পারেন। কম্পিউটার হার্ডওয়্যার স্পিকার, কীবোর্ড ইত্যাদি নিয়ে গঠিত।
ল্যাম্প একটি অ্যাব্রেভিয়েশন যা একটি কম্পিউটারের অপারেটিং সিস্টেমকে কভার করে। লিনাক্স, অ্যাপাচি, মাইএসকিউএল, পিএইচপি।
লিনাক্স সফটওয়্যারটির একটি অংশ যা উন্মুক্ত উৎসের ও আপনাকে নিজের অপারেটিং সিস্টেমটি সম্পূর্ণ করতে এবং লিখতে সক্ষম করে। অপারেটিং সিস্টেম ইউনিক্সের ভিত্তি ব্যবহার করে।
মেমস একটি প্রযুক্তি যা তার সবচেয়ে সাধারণ আকারে ক্ষুদ্র যান্ত্রিক এবং ইলেক্ট্রো-মেকানিক্যাল উপাদান (যেমন, ডিভাইস এবং কাঠামো) হিসাবে সংজ্ঞায়িত করা যেতে পারে যা কৌশলগুলি ব্যবহার করে তৈরি করা হয় মাইক্রো ফ্যাব্রিকেশন।
মাইক্রোসফট অফিস মাইক্রোসফট অফিস সিস্টেম মাইক্রোসফট দ্বারা তৈরি কম্পিউটার প্রোগ্রামগুলির একটি সংগ্রহ। প্রোগ্রাম সব ব্যবহারকারীর জন্য তৈরি করা হয়। হোম ব্যবহারকারীদের জন্য এবং ব্যবসায়িক ব্যবহারকারীদের জন্য সফটওয়্যারটির বিভিন্ন সংস্করণ রয়েছে।
নাসা ন্যাশনাল অ্যারোনটিক্স অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন।
ই এম এর নির্মাতারা যারা নিজের নামে এবং ব্র্যান্ডিংয়ের অধীনে অন্য সংস্থার পণ্য পুনরায় বিক্রয় করে।
ওপেন অফিস একটি উন্মুক্ত উৎসের অফিস প্রোডাক্টিভিটি স্যুট। সফটওয়্যার মাইক্রোসফট উইন্ডোজ, অ্যাপল ম্যাকস এবং লিনাক্স সহ সমস্ত প্রধান অপারেটিং সিস্টেমের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
উন্মুক্ত উৎসের এমন সফটওয়্যার নির্দেশ করা যার জন্য মূল উত্স কোডটি বিনামূল্যে উপলব্ধ করা হয়েছে এবং পুনরায় বিতরণ এবং সংশোধন করা যেতে পারে।
মেরুকরণ সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে (একটি ট্রান্সভার্স তরঙ্গ, বিশেষত আলো) এর কম্পনকে এক দিকে সীমাবদ্ধ করুন।
গোপনীয়তা এমন একটি রাষ্ট্র যেখানে কেউ অন্য লোকেদের দ্বারা পর্যবেক্ষণ বা বিরক্ত হয় না।
মালিকানা সফটওয়্যার যা কোনও ব্যক্তি বা সংস্থার মালিকানাধীন (সাধারণত এটি বিকাশকারী)। এর ব্যবহারের উপর প্রায় সর্বদা বড় বিধিনিষেধ রয়েছে এবং এর উত্স কোডটি প্রায় সর্বদা গোপন রাখা হয়।
সার্ভার একটি কম্পিউটার বা কম্পিউটার প্রোগ্রাম যা একটি নেটওয়ার্কে একটি কেন্দ্রীভূত সম্পদ বা পরিষেবা প্রাপ্যতা পরিচালনা করে।
সফটওয়্যার একটি কম্পিউটার দ্বারা ব্যবহৃত প্রোগ্রাম এবং অন্যান্য অপারেটিং তথ্য।
সিস্টেম একটি প্রক্রিয়া বা একটি আন্তঃসংযোগকারী নেটওয়ার্কের অংশ হিসাবে একসাথে কাজ করা জিনিসগুলির একটি সেট; একটি জটিল সমগ্র।
টেলিটেক্সট পাঠ্য এবং গ্রাফিক্স আকারে একটি সংবাদ এবং তথ্য পরিষেবা, উপযুক্ত রিসিভার সহ টেলিভিশনগুলিতে বিদ্যমান টেলিভিশন চ্যানেলগুলির অতিরিক্ত ক্ষমতা ব্যবহার করে প্রেরণ করা হয়।
71p14zcc539am9rnsbvawez9mwnx5qx
85818
85817
2025-07-08T04:32:05Z
MS Sakib
6561
85818
wikitext
text/x-wiki
= উন্মুক্ত উৎসের ও মালিকানাধীন প্রযুক্তি =
== ভূমিকা ==
[[সবকিছুর জন্যেই ইন্টারনেট?|"সবকিছুর জন্যেই ইন্টারনেট?"]] উইকিবইয়ের এই অধ্যায়ে উন্মুক্ত উৎসের ও মালিকানাধীন প্রযুক্তির মূল ধারণাগুলো অন্বেষণ করা হবে। ১৯৭০-এর দশকে শুরু হওয়া এই দুই ধরণের সফটওয়্যারের ঐতিহাসিক বিকাশ তাদের স্রষ্টা, অবদানকারী এবং তৈরি প্রযুক্তিগত পণ্যের সূত্রের সঙ্গে পরীক্ষা করা হবে। ১৯৮০ এবং ১৯৯০ এর দশকে উন্নয়ন অব্যাহত থাকার সাথে সাথে [[হ্যাকার সংস্কৃতি|'হ্যাকারদের']] ব্যাপকতা এবং গুরুত্ব আরও প্রাসঙ্গিক হয়ে ওঠে। বিষয়কে ঘিরে নৈতিক যুক্তিগুলোও তাই। এই অধ্যায়ে দুটি বিপরীতমুখী সফটওয়্যারের পরিপ্রেক্ষিতে মেধাস্বত্ব বা [[w:মেধাস্বত্ব|কপিরাইট]] এবং [[w:ক্রিয়েটিভ কমন্স লাইসেন্স|ক্রিয়েটিভ কমন্সের]] ধারণাগুলোও বিশ্লেষণ করা হবে। দুটি ভিন্ন সফটওয়্যারের গভীর বিশ্লেষণের মাধ্যমে তাদের ক্ষমতার সুবিধা-অসুবিধা সম্পর্কে আলোচনা করা হবে। উন্মুক্ত উৎসের ও মালিকানাধীন সফটওয়্যারের এই ভিত্তিগত গবেষণা ব্যবহার করে এই অধ্যায়টি দুটি সফটওয়্যারের সমসাময়িক উদাহরণ, তাদের অ্যাপ্লিকেশন এবং একই সাথে একাধিক প্ল্যাটফর্মে কাজ করার ক্ষেত্রে তাদের কার্যকারিতা সম্পর্কিত বিতর্কগুলো পর্যালোচনা করা হবে।
== উন্মুক্ত ও মালিকানাধীন সফটওয়্যারের ইতিহাস ==
একজন লেখক এবং লেখকত্বের সারমর্ম হোমার প্রবর্তন করেছিলেন। আগেকার গল্পগুলো মুখে মুখে বলে পরিবেশিত হত। ফলে মূল দুটি গল্প কখনও হুবুহু এক হতো না। "বার্ড"দের পরিবেশিত এসব গল্পে উন্মুক্ত বাক্যাংশ ব্যবহার করে একটি গল্পের ভিত্তি তৈরি করা হতো। তবে প্রতি দুইটি গল্প একই হতো কিনা, তা এখানে নিশ্চিত করা হতো না।
হোমারই প্রথম ব্যক্তি যিনি কাগজে কলম লাগিয়ে (অর্থাৎ হাতে লিখে) একটি প্রতিলিপি তৈরি করেছিলেন। এর একটি প্রধান উদাহরণ হলো '[[w:ওডিসি|দ্য ওডিসি]]'। এই নতুন ধারণাটি চালু হওয়ার সাথে সাথে হোমার একটি কাল্পনিক জগতকে বৈধতা দিয়েছিলেন। একজন লেখক হওয়ার সাথে সাথেই লেখা বিতরণের চারপাশে একটি সৃজনশীল শিল্প শুরু হয়। লেখার পিছনে কেন আমাদের প্রক্রিয়া আছে এবং কীভাবে সেগুলো কাজ করে এবং বিতরণ করা হয়, সে সম্পর্কে লেখকরা গুরুত্বপূর্ণ। হোমার কপিরাইট আইন ও রয়্যালটির ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।
হোমার প্রতিলিপি লেখার আদর্শ প্রবর্তন করার পর এটি স্পষ্ট হয়ে ওঠে। রখন লেখার কপি ছিল সীমিত। কারণ প্রতিটি কপি হাতে লিখতে হতো। প্রায়ই এসব তৈরি করতে কয়েক মাস পর্যন্ত সময় লাগত। এরপর গুটেনবার্গ ১৫০০ সালের দিকে প্রথম ছাপাখানা চালু করেন। এর ফলে কপি করা দ্রুততর হয় এবং লেখকদের পাঠক সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। শেক্সপিয়র মূলত এভাবেই খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। কারণ তিনি দ্রুত ধারাবাহিকভাবে প্রচুর প্রতিলিপি তৈরি করতে সক্ষম হয়েছিলেন। তবে আধুনিক সমাজে আমরা এই যুগান্তকারী আবিষ্কারটিকে হালকাভাবে নিই। কারণ আমরা কোনও দ্বিধা ছাড়াই মূল মালিককে এর রয়্যালটি বা স্বীকৃতি না দিয়েই কোনও কাজের অনুলিপি তৈরি করতে পারি।
বিভিন্ন প্রতিলিপি প্রাপ্যতা করার দ্রুততার কারণে একটি রেজিস্টার বাস্তবায়ন করা হয়েছিল, যাতে কেবলমাত্র নির্দিষ্ট কিছু প্রত্যয়িত ছাপাখানাগুলোকে কেবল নির্দিষ্ট প্রতিলিপি মুদ্রণের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। তাদের একটি নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে মুদ্রণের অনুমতিপ্রাপ্ত সংখ্যার উপরও একটি সীমা ছিল। লেখক যাতে তাদের শ্রেষ্ঠ রচনাগুলোর জন্য খ্যাতি ও বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করতে পারেন, সেজন্য এটি চালু করা হয়েছিল। স্পষ্টতই এটি ১৫০০ এর দশকের পাশাপাশি এর পরেও ব্যবহৃত হয়েছিল। আজকের আধুনিক যুগে আমরা লেখকত্ব এবং রয়্যালটি সমর্থন করার জন্য ক্রমাগত কপিরাইট আইন প্রয়োগ করছি।
=== <u>১৯৮০ সালের পূর্ববর্তী</u> ===
==== ইউনিক্স ====
বলা হয় [http://www.unix.org/ ইউনিক্স] হলো কম্পিউটিংয়ের প্রযুক্তিগত অগ্রগতির সূচনা। ১৯৭০-এর দশকের গোড়ার দিকে এটি ছিল সি প্রোগ্রামিং ভাষায় লেখা প্রথম অপারেটিং সিস্টেম। এর মূল স্রষ্টা কেন থম্পসন এবং ডেনিস রিচি ছিলেন বলে বিশ্বাস করা হয়।<ref>http://www.unix.org/what_is_unix/history_timeline.html</ref> এটি ছিল প্রথম উন্মুক্ত উৎসের অপারেটিং সিস্টেম যা যে কেউ বিনামূল্যে যোগ করতে, উন্নত করতে এবং উন্নত করতে পারত।<ref>http://www.unix.org/what_is_unix.html</ref> লিনাক্স সহ এখন পর্যন্ত বেশিরভাগ অপারেটিং সিস্টেমের ভিত্তি ইউনিক্স।
=== <u>১৯৮০–১৯৮৯</u> ===
==== ইউজনেট ====
উন্মুক্ত উৎসের ও মালিকানাধীন প্রযুক্তির সূচনা ১৯৮০ এর দশকের আগেই শুরু হয়েছিল। কিন্তু এই সময়ের আগে খুব বেশি কিছু সহজলভ্য ছিল না। কারণ ১৯৮০ সালের আগে [https://en.usenet.nl/ ইউজনেটের] আগমন ঘটেনি। বিশ্বব্যাপী ভাগাভাগি এবং সহযোগিতার প্রথম উপায় ছিল ইউজনেট। ইউজনেট প্রকাশের সাথে সাথে এটি উন্মুক্ত উৎসের তথ্য ভাগাভাগি এবং ফাইল ভাগাভাগি উভয়েরই সূচনা করে।
==== গ্নু প্রকল্প/মুক্ত সফটওয়্যার আন্দোলন ====
উন্মুক্ত উৎসের ও মালিকানাধীন সফটওয়্যারের পরবর্তী ঐতিহাসিক মুহূর্ত ছিল রিচার্ড স্টলম্যানের দ্বারা গ্নু প্রকল্পের ভূমিকা। [https://www.gnu.org/ গ্নু] হলো ব্যবহারকারীদের স্বাধীনতাকে সম্মান করার আরেকটি অপারেটিং সিস্টেম প্রকল্প। বিভিন্ন উন্মুক্ত উৎসের প্রোগ্রাম দ্বারা এটি করা হয়েছে। অর্থাৎ গ্নু সফটওয়্যার নিজে এগুলা তৈরি করে না। গ্নু যখন তৈরি হয়, তখন [http://www.gnu.org/philosophy/free-software-intro.en.html "মুক্ত সফটওয়্যার আন্দোলন"] শুরু হয়েছিল। মুক্ত সফটওয়্যার আন্দোলনের ধারণা হলো কম্পিউটার ব্যবহারকারীদের একটি সম্প্রদায় গঠনের স্বাধীনতা।
==== ৩৮৬বিএসডি ====
১৯৮০-এর দশকের শেষের দিকে [http://www.386bsd.org/ 386বিএসডি]-র কাজ শুরু হয়। ৩৮৬বিএসডি "জোলিক্স" নামেও পরিচিত। এটি ইউনিক্স থেকে আসা আরেকটি বিনামূল্যের অপারেটিং সিস্টেম। এটি ঐতিহাসিক মুহূর্তগুলোর আরেকটি অগ্রগতি, কারণ এটি পরবর্তীতে ফ্রিবিএসডি এবং নেটবিএসডি-র দিকে পরিচালিত করে।
=== <u>১৯৯০-১৯৯৯</u> ===
==== লিনাক্স ====
এই দশকটি উন্মুক্ত উৎসের ও মালিকানাধীন সফটওয়্যারকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করেছে। অগ্রগতির পাশাপাশি ১৯৯১ সালে লিনাস টরভাল্ডস লিনাক্স তৈরির সিদ্ধান্ত নেন। এটি গ্নু অপারেটিং সিস্টেমের উপর অগ্রসর হয়, যাতে একটি সম্পূর্ণ বিনামূল্যের এবং উন্মুক্ত উৎসের অপারেটিং সিস্টেম প্রদান করা যায়। লিনাক্সের প্রতিষ্ঠাতা ইউনিক্সের নিজস্ব সংস্করণ তৈরি করেছিলেন। তিনি নিজের অপারেটিং সিস্টেম তৈরি করতে চেয়েছিলেন। তবে আপনি হয়তো কল্পনা করতে পারবেন না, ১ কোটি লাইন কোড লিখতে কতটা সময় লাগবে/ তাই তিনি ইন্টারনেটে তার দৃষ্টিভঙ্গি ভাগ করে নেন। ফলস্বরূপ অনেক কম্পিউটার উৎসাহী এতে যোগ দেন। মূলত এটি ছিল একটি কম্পিউটিং সিস্টেম, যা যে কেউ তৈরি ও ব্যবহার করতে সক্ষম। অপারেটিং সিস্টেমটিকে একই সাথে বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম ও মাল্টিমিডিয়ামে সংহত করা একটি চ্যালেঞ্জ ছিল। তবে একবার কার্নেল, অপারেটিং সিস্টেমের ভিত্তি তৈরি হয়ে গেলে বাকিগুলো পালাক্রমে অনুসরণ করা হয়।
==== লাল টুপি বা রেড হ্যাট ====
১৯৯৩ সালে [https://www.redhat.com/en/open-source রেড হ্যাটের] প্রতিষ্ঠা ঘটে। রেড হ্যাট একটি লিনাক্স ডিস্ট্রিবিউশন ভিত্তিক কোম্পানি। এটি প্রমাণ করে যে উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যার অত্যন্ত লাভজনক হতে পারে। তারা তাদের নীতিবাক্য পূরণ করার চেষ্টা করে:<div align="center">
<small>"প্রতিটি সমাধান শুরু হয় সমস্যা ভাগ করে নেওয়ার মাধ্যমে। প্রযুক্তি উন্মুক্তভাবে সমৃদ্ধ হয়, যেখানে মানুষ তাদের ধারণা ভাগ করে নেওয়ার এবং অন্যদের কাজের উপর ভিত্তি করে গড়ে তোলার জন্য স্বাধীন।"</small>
<small>"সৃষ্টি সর্বদা সহযোগিতার একটি কাজ" </small>
</div>
==== MySQL/Java 1.0 ====
১৯৯৫ সালে [https://www.mysql.com/ মাইএসকিউএল] এবং প্রথম [https://java.com/en/ জাভা] সোর্স প্রোগ্রামিং ভাষা উভয়ই প্রকাশিত হয়েছিল। মাইএসকিউএল হলো একটি ওপেন-সোর্স রিলেশনাল ডাটাবেস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম। এটি ISAM ভাষার উপর ভিত্তি করে তৈরি। জাভা ১.০ এর প্রথম পাবলিক রিলিজটিও ১৯৯৫ সালে [https://www.oracle.com/sun/index.html?PHPSESSID=8fd76773d26875481e097a4a27c7a6a1 সান মাইক্রোসিস্টেমস] দ্বারা প্রকাশিত হয়েছিল। ২০০৬ সালে OpenJDK চালু হওয়ার পর সান মাইক্রোসিস্টেম সমস্ত জাভা প্যাকেজ উন্মুক্ত উৎসের প্রোগ্রাম তৈরি করে।<div align="center">
<small>জাভা ১.০ প্রতিশ্রুতি দিয়েছে "একবার লিখুন, যেকোনো জায়গায় চালান</small>
</div>
==== অ্যাপাচি ====
পরবর্তীতে দশকের শেষের দিকে আমরা [https://httpd.apache.org/ অ্যাপাচি প্রকাশের মাধ্যমে আরও অগ্রগতি দেখতে পাই।] অগ্রগতি স্থবির হয়ে পড়ার পর NCSA HTTPd সার্ভারগুলোতে সম্প্রসারণের প্রয়াসে অ্যাপাচি-র উপর ভিত্তি তৈরি করা হয়েছিল অ্যাপাচি হলো একটি অবাধে উপলব্ধ ওয়েব সার্ভার। এটি একটি উন্মুক্ত উৎসের লাইসেন্সের অধীনে বিতরণ করা হয়।
==== নেটস্কেপ ====
১৯৯৮ সালে [http://isp.netscape.com/ নেটস্কেপ] তাদের ওয়েব ব্রাউজার উন্মুক্ত উৎসের করে দেয়। মজিলা হলোনেটস্কেপের তৈরি একটি মুক্ত সফটওয়্যার সম্প্রদায়। এটি উন্মুক্ত উৎসের হওয়ার ফলে ব্যবহারকারীরা পণ্যটি ব্যবহার, বিকাশ এবং প্রসারের সুযোগ পান। <ref>https://www.mozilla.org/en-GB/</ref> এরপর মজিলা [https://www.mozilla.org/en-GB/about/ মজিলা ফায়ারফক্স] তৈরি করে।এটি আজও একটি সুপরিচিত ওয়েব ব্রাউজার।
==== ল্যাম্প ====
LAMP এর বেশিরভাগ ধারণা নিম্নরূপ।
<u>(L) লিনাক্স -</u> অপারেটিং সিস্টেম যা পুরো প্রক্রিয়াটিকে সমর্থন করে।
<u>(A) অ্যাপাচি</u> - অ্যাপাচি হলো একটি ওয়েব সার্ভার। এটি আপনাকে আপনার প্রয়োজনীয় তথ্য অর্জনের জন্য সিস্টেমের সাথে কীভাবে যোগাযোগ করতে হবে তা বলে। এটি একটি গ্রাফিক্যাল ইউজার ইন্টারফেসের (GUI) অনুরূপ। এটি সার্ভারগুলোকে একে অপরের সাথে কীভাবে ইন্টারঅ্যাক্ট করতে হয় তাও বলে।
<u>MySQL</u> বা মাইএসকিউএল হলো ডাটাবেজ। এখানেই সমস্ত তথ্য সংরক্ষণ করা হয় এবং ব্যবহারকারীর কাছে উপস্থাপন করার জন্য পুনরুদ্ধার করা হয়।
<u>PHP</u> - পিএইচপি হলো ব্যবহারকারীর কাছে সিস্টেমের সামগ্রিক সরবরাহ/ যেমন একটি মনিটর, স্পিকার এবং VDU। এটি ব্যবহারকারীকে সামগ্রিক অভিজ্ঞতা প্রদান করে।
কম্পিউটার ব্যবহারের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সবকিছুই উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যারের মাধ্যমে করা হয়।
=== <u>২০০০-২০১০</u> ===
==== ওপেনঅফিস ====
২০০০-এর দশকেও উন্মুক্ত উৎসের ও মালিকানাধীন সফটওয়্যারের অগ্রগতি অসাধারণ ছিল। ২০০১ সালে ওপেনঅফিস প্রথম প্রকাশিত হয়। এটি পরবর্তীতে [https://www.openoffice.org/ অ্যাপাচি ওপেনঅফিস], [https://www.libreoffice.org/ লিব্রেঅফিস] এবং ওরাকল ওপেনঅফিসে (এটিই একমাত্র ক্লোজড সোর্স যা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল) শাখাভুক্ত হয়। ওপেনঅফিস ছিল একটি উন্মুক্ত উৎসের অফিস স্যুট প্রোগ্রাম। এটি মাইক্রোসফট অফিসের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে।
==== উবুন্টু ====
২০০৪ সালের মধ্যেই ডেবিয়ান-ভিত্তিক লিনাক্স ডিস্ট্রিবিউশন [http://www.ubuntu.com/ উবুন্টু] মুক্তি পায়। "উবুন্টু একটি উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যার প্ল্যাটফর্ম। এটি স্মার্টফোন, ট্যাবলেট এবং পিসি থেকে শুরু করে সার্ভার এবং ক্লাউড সর্বত্র চলে।" উবুন্টুর লোগো প্রতীকটি "বন্ধুদের বৃত্ত" প্রতিনিধিত্ব করে। এটি উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যারের সাথে সহযোগিতা প্রদর্শন করে। এটি একটি অত্যন্ত ঐতিহাসিক মুহূর্ত। কারণ এখন উবুন্টুর ২৪টিরও বেশি অফিসিয়াল রিলিজ থাকার পাশাপাশি অনেক অনানুষ্ঠানিক ভার্সনও রয়েছে।
==== গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ ====
এই আলোচনায় চারজন প্রভাবশালী কম্পিউটিং প্রতিভার কথা উল্লেখ করাও গুরুত্বপূর্ণ। তারা তাদের আবিষ্কারের মাধ্যমে পুরো বিশ্বকে মুগ্ধ করেছিলেন। ১৯৪৫ সালে স্নায়ুযুদ্ধের প্রাক্কালে <u>বুশ</u> মাইক্রো ফিল্ম ব্যবহার করে প্রথম কম্পিউটার চালু করেন। তিনি বিশ্বাস করতেন, সকলেরই বিশ্ব জ্ঞানে প্রবেশাধিকার থাকা উচিত। এটি ছিল একটি অত্যন্ত কাল্পনিক পদ্ধতি। বুশ আর্থিক মূল্যের জন্য এই ক্ষেত্রটি অনুসরণ করেননি। বরং তিনি বিশ্বাস করতেন, প্রত্যেকেরই তথ্যের প্রাপ্যযোগ্যতা থাকা উচিত।<br/> এনিগমায় কাজ করার জন্য কুখ্যাত <u>টুরিং</u> এমন একটি যন্ত্র তৈরি করেছিলেন, যা যেকোনো কিছু গণনা করতে সক্ষম ছিল। এর মাধ্যমে তথ্য ইনপুট করার এবং দ্রুত ধারাবাহিকভাবে কম্পিউটিং কোডের মাধ্যমে যন্ত্রের বোধগম্য ভাষাতে রূপান্তর করার সুযোগ পাওয়া যায়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় টুরিং সরকারি কোড এবং সাইবার স্কুলে কাজ করেছিলেন। টুরিংকে একটি দল বরাদ্দ করা হয়েছিল। সেখানে তিনি জার্মান নৌ ক্রিপ্ট বিশ্লেষণের দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন। <u>এঙ্গেলবার্ট</u> যুক্তরাজ্যের অন্ধকার প্রধান প্রতিরক্ষার জন্য কাজ করেছিলেন। তিনি দৈত্যদের কাঁধে দাঁড়ানোর উপর বিশ্বাস করতেন। তিনি বুশ ও টুরিংয়ের তৈরি পূর্ববর্তী কাজগুলো ব্যবহার করতেন। রিনি অনেক দুর্দান্ত জিনিস অর্জনের জন্য এটিকে প্রসারিত করেছিলেন। সকল ডেমোর জননী ১৯৬৯। তবে অন্য তিনজনের তুলনায় <u>নেলসন</u> ছিলেন খুবই রহস্যময়। নেলসন হাইপারটেক্সট, HTTP এবং মূলত ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব (www) তৈরিতে সহায়তা করেছিলেন। তিনি জানাডু নামে পরিচিত একটি প্রোগ্রামও তৈরি করেছিলেন। ধারণা করা হয়েছিল এটি ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবের চেয়ে বেশি দক্ষ হবে। তবে আগের তিনজনের বিপরীতে নেলসন এই ধারণাটি পেটেন্ট করে ফ্র্যাঞ্চাইজির মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে চেয়েছিলেন। দুর্ভাগ্যবশত নেলসনের ক্ষেত্রে এটি কাজ করেনি। তাইবশীঘ্রই ধারণাটি ব্যর্থ হয়ে যায়। এই সংক্ষিপ্ত ইতিহাস জুড়ে একটি মূল বিষয়বস্তু হলো সামরিক বাহিনীর সাথে সম্পর্ক ও যোগাযোগ। যদি সামরিক বাহিনী এবং সম্ভবত বিশ্বযুদ্ধ না থাকত, তাহলে আমরা আজ উন্নয়নের ডিজিটাল জগতে যেখানে আছি সেখানে হয়তো থাকতাম না। এমনকি আইপি ইন্টারনেট প্রোটোকলও সামরিক বাহিনী থেকেই এসেছে। তবে একটি বিষয় নিশ্চিত, ডিজিটাল প্রযুক্তি আসলে খুবই রাজনৈতিক।
== হ্যাকার নীতি ==
=== হ্যাকারের বিবর্তন: অতীত ও বর্তমান ===
"হ্যাকার" শব্দটির সাধারণ অর্থ বিভিন্ন প্রজন্মের কাছে ভিন্ন ভিন্ন। লেভি (১৯৬৮) বলেছেন, কম্পিউটার বিজ্ঞান জগতের লোকেরা "এই শব্দটিকে উপহাসের একটি রূপ হিসেবে ব্যবহার করত। এর অর্থ হ্যাকাররা হয় অলস সামাজিকভাবে বহিষ্কৃত অথবা "অপেশাদার" প্রোগ্রামার, যারা নোংরা "অমানবিক" কম্পিউটার কোড লিখেছিল"।<ref>Levy, Steven. 1986 ''Hackers: - Heroes of the Computer Revolution''</ref> লেভি হ্যাকার কী তা বর্ণনা করেছেন। তার তুলনায় ডগলাস (২০০২) হ্যাকারদের বর্ণনা করেছেন, "একটি সংস্কৃতি হিসেবে, (হ্যাকার হলো) কম্পিউটার উৎসাহীদের একটি দল, যারা এমন একটি ক্ষেত্র ও পদ্ধতিতে কাজ করে যা সঠিকভাবে কীভাবে কাজ করে তা জানার জন্য সীমাহীন কৌতূহলের অনুভূতি দ্বারা সংজ্ঞায়িত করা যেতে পারে। তবে এই জ্ঞানকে আরও বিস্তৃত সাংস্কৃতিক ধারণা দ্বারা সংজ্ঞায়িত করা হয়"। <ref>Levy, Steven. 1986 ''Hackers: - Heroes of the Computer Revolution''</ref> আবার দুটি ভিন্ন প্রজন্ম হ্যাকার কী তা বিশ্বাস করে তার দুটি ভিন্ন সংজ্ঞা দেয়। হ্যাকিংয়ের এই ইতিহাসটি একটি জটিল কিন্তু আকর্ষণীয় ক্ষেত্র। কারণ একবিংশ শতাব্দীতে আমরা হ্যাকিংকে একটি অপরাধ হিসেবে জানি। কিন্তু আজকের বিশ্বে অগ্রগতির জন্যেই এটি ব্যবহার করা হয়েছিল। আবার লেভি (২০১৬) উদ্ধৃত করেছেন, "এটি ছিল ভাগাভাগি, উন্মুক্ততা, [[বিকেন্দ্রীকরণ]] এবং যেকোনো মূল্যে মেশিনের উন্নতি এবং বিশ্বকে উন্নত করার জন্য মেশিন হাতে পাওয়ার একটি দর্শন"। এই দর্শন বা নীতিশাস্ত্র তাদের সংস্কৃতির জন্য উপহার ছিল; এমন কিছু যা আমাদের মধ্যে যাদের কম্পিউটারে মোটেও আগ্রহ নেই তাদের জন্যও মূল্যবান। হ্যাকিংয়ের বিবর্তন দেখতে পাওয়া যায় যদি কেউ হ্যাকিংয়ের এই গতিবিধিটি অধ্যয়ন করে। এটি বর্তমানে "অজ্ঞাত" নামে পরিচিত। কারণ এই আন্দোলনটি শুরু হয়েছিল সহজ ট্রোলিং, অপ্রীতিকর উপাদান ভাগ করে নেওয়া এবং [[ফোরচান|4chan]] ওয়েবসাইটে "মিমস" এর মতো অদ্ভুত নতুন ইন্টারনেট অভিব্যক্তি তৈরির মাধ্যমে। হ্যাকাররা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির এই পটভূমি থেকে এসেছে বলে এটিকে তারা "হ্যাকটিভিজম"-এ (হ্যাকিং+অ্যাকটিভিজম) রূপান্তরিত করেছে। এটি কোনও উদ্দেশ্যকে সমর্থন, অসম্মান বা ব্যাহত করার সরাসরি উদ্দেশ্য নিয়ে হ্যাকিং করাকে বুঝায়। তবে এটি হবে "অজ্ঞাত" ভাবে। এগুলো হ্যাকিং বিবর্তনের একটি সহজ ফসল। হ্যাকারদের অনেকেই ইতিবাচক হিসেবে দেখার মতো কাজ করেছে, যেমন [[কু ক্লাক্স ক্লান|কু ক্লাক্স ক্ল্যানের]] সদস্যদের উন্মোচন করা।
=== সৃজনশীল বনাম অপরাধী ===
কম্পিউটারের প্রাথমিক যুগের সাথে সাথে উন্নতির জন্য সর্বদাই জায়গা ছিল। প্রতি বছর বিভিন্ন হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যার দিয়ে কম্পিউটার আপগ্রেড করা হচ্ছে। এক অর্থে হ্যাকাররা সবসময়ই বোঝাপড়ার জন্য চেষ্টা করত। কিন্তু এগিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে তারা সফটওয়্যারও আপগ্রেড করছিল। অ্যালবার্টস এবং ওল্ডেনজিয়েল (২০১৪) এর বর্ণনা অনুযায়ী হ্যাকার ছিলেন একজন ব্যক্তি "যিনি ইচ্ছাকৃতভাবে বাইরের ব্যক্তির ভূমিকা বেছে নেন, জটিলতাগুলো আয়ত্ত করতে হয়, তালা ভাঙতে হয় এবং বহিষ্কারকে অনুপ্রবেশের মাধ্যমে মোকাবেলা করতে হয়"। তারা আরও ব্যাখ্যা করে, হ্যাকাররা "কোনও ক্ষতি না করার জন্য" অনুপ্রবেশের একটি ছাপ রেখে যেতে চেয়েছিল। বিশ্বজুড়ে হ্যাকার সংস্কৃতিকে ভিন্নভাবে দেখা হয়। অনেক দেশ এই সংস্কৃতিকে বিভিন্ন রূপে ব্যবহার করে। উদাহরণস্বরূপ, যুগোস্লাভ কিশোর-কিশোরী এবং ছাত্ররা পার্টি ও সঙ্গীতের উপসংস্কৃতির অংশ হিসেবে কম্পিউটার "ঝাঁকুনি" দিত। অন্যদিকে ফিনিশ গণতন্ত্রগুলো এটিকে "উদীয়মান প্রোগ্রামারদের তাদের কাজ দেখানোর জন্য" "অনুষ্ঠানের আচার" হিসেবে ব্যবহার করত। অন্যদিকে [[Wau holland|"ওয়াউ হল্যান্ড"]] নামে একজন জার্মান হ্যাকারের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক কার্যকলাপের অভিযোগ আনা হয়েছিল। এর মাধ্যমে তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে একটি ব্যাংকের নিরাপত্তা ত্রুটিগুলো দেখানোর জন্য হ্যাক করেছিলেন। তারা যে সিস্টেমটি হ্যাক করছিল তা ছিল একটি নতুন সিস্টেম যা ব্যাংকটি একটি ইন্টারেক্টিভ টেলিটেক্সট সিস্টেম ( [[Btx (form factor)|Btx]] ) স্থাপন করেছিল। এর প্রধান নিরাপত্তা ত্রুটি ছিল। হ্যাকাররা পাসওয়ার্ডগুলো হেরফের করতে এবং ট্র্যাক করতে সক্ষম হয়েছিল। এই কাজ করে হল্যান্ড এবং তার সহযোগী এক রাতে তাদের অ্যাকাউন্টে €১৩৫,০০০ ট্রান্সফার করতে সক্ষম হন। তাদের ব্যাংক হ্যাক করার চার বছর পর ওয়ার্নারিকে আরও কম্পিউটার অপরাধের জন্য ফ্রান্সে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। ১৯৮৬/৮৭ সালে [[নাসা|নাসার]] মতো সরকারি কর্তৃপক্ষ এবং গবেষণা সংস্থাগুলোর ব্যবহৃত VAX কম্পিউটারগুলোতে একটি বাগ আবিষ্কার করে হ্যাকাররা এই কম্পিউটারগুলোতে প্রাপ্যতা পেতে সক্ষম হয়। এরপর তার বিরুদ্ধে ১০০টি কম্পিউটার থেকে ডেটা প্রাপ্যতা, কপি এবং ধ্বংস করার অভিযোগ আনা হয়। হ্যাকিং জগতের অপরাধমূলক দিকের আরেকটি উদাহরণ হতে পারে ১৯৯০ সালের AT&amp;T-এর দূরপাল্লার টেলিফোন সুইচিং সিস্টেমটি ক্র্যাশ করার ঘটনা। স্টার্লিং (১৯৯৪) ব্যাখ্যা করেছেন, এই দুর্ঘটনার সময় ৬০,০০০ মানুষ নয় ঘন্টার জন্য টেলিফোন পরিষেবা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল। এটি শুরু হয়েছিল কারণ ম্যানহাটনের একটি সুইচিং-স্টেশন AT&T-এর নিজস্ব সিস্টেমে পাওয়া একটি বাগের কারণে ক্র্যাশ হয়ে গিয়েছিল।
=== কম্পিউটার/হ্যাকিং নীতিশাস্ত্রের গঠন ===
হ্যাকিংয়ের ক্ষেত্রে আমরা জানি যে মানুষ বিভিন্ন কারণে এটি করে। ভালো হোক বা খারাপ, তুলনা করার মতো কোনও মধ্যম ক্ষেত্র নেই। টেলর (১৯৯৯:১৩৬) যা বর্ণনা করেছেন যে "হ্যাকিংয়ের নৈতিক জটিলতার মুখোমুখি হলে, তারা এবং আমাদের পরিস্থিতির মেরুকৃত অবস্থানের মধ্যে থাকা নৈতিক নিশ্চিততাগুলো গ্রহণ করার প্রলোভন দেখা দেয়"। গত দশকে প্রযুক্তির অগ্রগতির সাথে সাথে, এটি হ্যাকিং প্রজন্মকে তাদের নিজস্ব জ্ঞান, নতুন হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যার উন্নত করার জন্য বিভিন্ন খেলার মাঠ উপহার দিয়েছে। হ্যাকিং সম্ভব করার অন্যতম প্রধান কারণ হলো গোপনীয়তার সমসাময়িক সংস্কৃতি যা সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং অর্থনৈতিক মিথস্ক্রিয়ার একটি বৃহৎ অংশকে নিয়ন্ত্রণ করে। গোপনীয়তার কারণে হ্যাকাররা বিচ্ছিন্ন বোধ করে। কিন্তু সুবিধাও পায়। আমরা জানি হ্যাকাররা গোপনীয়তার বিরোধিতা করে, তারা নিজেদের বিরোধিতা করে, তারা যে পদ্ধতি বা পদ্ধতিটি পরিচালনা করে তা কাজে লাগিয়ে, প্রযুক্তি এবং সমসাময়িক সংস্কৃতির সাথে তাদের অবস্থানকে জটিল করে তোলে। ডগলাস (২০০২:১১৫) ব্যাখ্যা করেন যে হ্যাকিংয়ের প্রাথমিক প্রজন্মে, ধারণা, তথ্য ভাগাভাগি করার পাশাপাশি প্রযুক্তি প্রাপ্যতাের জন্য সম্প্রদায়গুলোর উপর প্রচুর নির্ভর করা হত। ১৯৫০/৬০ এর দশকে, সম্প্রদায়গুলো এমআইটি, হার্ভার্ড, কর্নেল এবং আরও কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবগুলোকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছিল। <ref>Douglas, Thomas 2002 ''Hacking Culture''</ref>
টেলর আরও বলেন,"হ্যাকাররা এমন বাচ্চাদের মতো যারা রেললাইনে দশ পেন্সের টুকরো রেখে দেখে যে এটি বাঁকছে কিনা। কিন্তু তারা বুঝতে পারে না যে তারা পুরো ট্রেনটি রেলিং থেকে নামিয়ে দেওয়ার ঝুঁকি নিচ্ছে"। হ্যাকারদের কীভাবে উপস্থাপন করা হয় তা দেখার একটি ভালো উপায় হলো "মিস্টার রোবট"। এটি এমন একটি প্রোগ্রাম যেখানে একদল হ্যাকার একটি বহুজাতিক কর্পোরেশনকে আক্রমণ করে বিশ্বকে ঋণমুক্ত করতে বদ্ধপরিকর। টেলর (১৯৯৯) উল্লেখ করেছেন,ব্যবসায়িক নীতিশাস্ত্রের একটি গবেষণার সময়, এমন কিছু বিষয় উঠে এসেছে যা দেখায় যে শিল্পের মধ্যে নীতিগত সিদ্ধান্তগুলো আরও কঠিন এবং বয়স্ক জনগোষ্ঠীর কাছ থেকে আসার প্রবণতা রয়েছে। কম্পিউটার শিল্পের সদস্যরা সাধারণত সাধারণ হ্যাকারদের তুলনায় বয়স্ক হন এবং কম্পিউটারকে তাদের দৈনন্দিন জীবনের একটি হাতিয়ার হিসেবে দেখেন, অন্যদিকে হ্যাকাররা কম্পিউটারকে একটি শখ হিসেবে দেখেন। এই বয়সের পার্থক্য সম্ভবত একটি কারণ যার জন্য নিরাপত্তা শিল্প এবং গোপন কম্পিউটারের সদস্যদের নীতিগত দৃষ্টিভঙ্গিতে মৌলিক পার্থক্য রয়েছে।
==== 'অলিখিত আইন' ====
অনেক কম্পিউটার ভক্ত এমন একটি কাঠামো অনুসরণ করেন যাকে অনেকে হ্যাকারদের বাইবেল বলে। এটি এমন কিছু অলিখিত নিয়মে। তারা বিশ্বাস করে এভাবেই সফটওয়্যার লেখা এবং সরবরাহ করা উচিত। তারা সেই অনুযায়ী আরও উন্মুক্ত এবং উদার কিছু পরিবর্তন করতে চায়। এটি মূলত সফটওয়্যারের সহজলভ্যতা এবং এটি ব্যবহার করতে ইচ্ছুক সকলের কাছে এর সহজলভ্যতার সাথে সম্পর্কিত। সকল তথ্য বিনামূল্যে থাকা উচিত। কর্তৃপক্ষের উপর অবিশ্বাস করুন, বিকেন্দ্রীকরণকে উৎসাহিত করুন। দ্বিতীয়ত এই ধারণাটি উপস্থাপন করে যে, বিশ্বজুড়ে বা এমনকি বিভিন্ন দেশে একাধিক সার্ভার থাকা উচিত। সেগুলোতে একই তথ্য জমা থাকবে, যাতে অন্য কোনও সফটওয়্যার এবং/অথবা প্রোগ্রাম ব্যর্থ হলে আপনি সর্বদা প্রাপ্যতা পেতে পারেন। একাধিক সার্ভার থাকার ফলে বৃহত্তর শ্রোতা তৈরি হবে। এর ফলে প্রোগ্রামগুলোতে সবার প্রাপ্যতা থাকার পাশাপাশি কর্মক্ষমতাও উন্নত মানের হবে। হ্যাকারদের বিচার করা উচিত তাদের হ্যাকিং দিয়ে; কোনো ডিগ্রি, বয়স, জাতি বা পদের মতো ভুয়া মানদণ্ড দিয়ে নয়। আমি বিশ্বাস করি এটি বিশেষ করে আধুনিক যুগ এবং সমাজের সাথে গভীরভাবে সম্পর্কিত যেখানে জীবনের সকল ক্ষেত্রেই সমতার জন্য লড়াই অব্যাহত রয়েছে। বিশেষ করে আজকের ডিজিটাল জগতে এমন অনেক তরুণ আছেন যারা অসাধারণ কোডিং তৈরি করতে সক্ষম যা একটি IOS সিস্টেমের মধ্যে একত্রিত করা যেতে পারে। এগুলো বিভিন্ন মাল্টি মিডিয়ামে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে পারে। আপনি কম্পিউটারে শিল্প ও সৌন্দর্য তৈরি করতে পারেন। এটি কম্পিউটিং জগতের সকল মাত্রার জন্য দায়ী, তা ডিজিটাল শিল্প, প্রোগ্রামিং, চলচ্চিত্র নির্মাণ হোক... তালিকাটি অন্তহীন। বলা বাহুল্য, সবই শিল্পের উপাদান। এগুলোকে হালকাভাবে নেওয়া উচিত নয়। কম্পিউটার জীবনকে আরও ভালোর দিকে বদলে দেয়। প্রযুক্তি ক্রমাগত বিকশিত হচ্ছে এবং উন্নতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা এখন বধির এবং অন্ধদের জন্য এমন ব্যবস্থা তৈরি করতে সক্ষম হয়েছি যা মিথস্ক্রিয়া এবং যোগাযোগের পাশাপাশি আরও অনেক কিছুতে সহায়তা করে যা অসংখ্য ব্যক্তি এবং পরিবারকে সহায়তা করে।
== ক্রিয়েটিভ কমন্স বনাম কপিরাইট ==
=== ক্রিয়েটিভ কমন্স কী? ===
২০০১ সালে লরেন্স লেসিগ, হাল অ্যাবেলসন এবং এরিক ইল্ড্রেড অলাভজনক সংস্থা '''ক্রিয়েটিভ কমন্স (CC)''' প্রতিষ্ঠা করেন। এটি অন্যদের জন্য উপলব্ধ সৃজনশীল কাজ বাড়ানোর জন্য চেষ্টা করছে। এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা আইনগতভাবে ভিত্তি করে তৈরি করতে এবং অন্যদের সাথে ভাগ করতে পারেন। ক্রিয়েটিভ কমন্স লাইসেন্সগুলি জনসাধারণের জন্য বিনামূল্যে প্রকাশিত হয়। ক্রিয়েটিভ কমন্স সম্পর্কিত প্রথম নিবন্ধটি একটি সাধারণ আগ্রহের প্রকাশনায় হাল প্লপকিনের “All Hail Creative Commons Stanford professor and author Lawrence Lessig plans a legal insurrection” (২০০২)-এ প্রকাশিত হয়। ২০০৪ সালের নভেম্বর পর্যন্ত প্রায় ৮৮০ মিলিয়ন কাজ ক্রিয়েটিভ কমন্স লাইসেন্সের আওতায় লাইসেন্সপ্রাপ্ত।<ref>[https://creativecommons.org/licenses] , About the Licenses – Creative Commons.</ref>
'''ক্রিয়েটিভ কমন্সের বিভিন্ন দিক'''
ক্রিয়েটিভ কমন্সের অনেক ধরণের আছে, যেগুলো আপনাকে বিভিন্ন উপায়ে একটি কাজ ব্যবহার করার সুযোগ দেয়। এটি ব্যক্তির লাইসেন্সের উপর নির্ভর করে। কারণ প্রতিটি কাজের সাথে আপনি কী করতে পারবেন এবং কী করতে পারবেন না তার নিয়ম রয়েছে। নিচে কয়েকটি তালিকাভুক্ত উদাহরণ দেওয়া হলো। মূলত স্কেল শর্তাবলী প্রদান করে, আপনি বিভিন্ন উপায়ে কিছু পুনঃব্যবহার করতে পারেন, সাধারণত এটি শর্তাবলীতে বর্ণিত থাকে। এটি ছোট মুদ্রণ নামেও পরিচিত।
'''পাবলিক ডোমেইন'''
পাবলিক ডোমেইন শব্দটি এমন সৃজনশীল উপকরণগুলোকে বোঝাতে ব্যবহৃত হয় যা সম্পত্তি আইন, কপিরাইট, ট্রেডমার্ক বা পেটেন্ট আইন দ্বারা সুরক্ষিত নয়। এই কাজগুলোর মালিক 'জনসাধারণ', কোনও একক ব্যক্তি নন। পাবলিক ডোমেইন উপকরণ ব্যবহারের জন্য অনুমতির প্রয়োজন নেই কারণ কেউ কখনও উপকরণের অধিকার দাবি করতে পারে না। <ref>[http://fairuse.stanford.edu/overview/public-domain/welcome/] , Copyright & Fair Use – Stanford University Libraries.</ref>
চারটি সাধারণ সম্ভাবনা রয়েছে যা উপকরণ বা পণ্যগুলোকে পাবলিক ডোমেইন করতে পারে: <ref>[http://fairuse.stanford.edu/overview/public-domain/welcome/] , Copyright & Fair Use – Stanford University Libraries (Extended).</ref>
* কপিরাইট মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে।
* কপিরাইট মালিক কপিরাইট নবায়ন নিয়মের পদ্ধতি সঠিকভাবে অনুসরণ করেননি।
* কপিরাইট মালিক ইচ্ছাকৃতভাবে একটি উপাদান বা পণ্য পাবলিক ডোমেইনে রাখেন।
* কপিরাইট আইন এই বিশেষ ধরণের উপাদানকে রক্ষা করতে পারে না।
কপিরাইট জনসাধারণের জন্য, যাতে তারা সফটওয়্যারটি ব্যবহার করতে পারে, কাজের অংশ... ইত্যাদি, যেমনটা তারা চায়। এর অর্থ হলো তারা এটি সম্পাদনা করতে এবং তাদের ইচ্ছামতো পুনরায় ব্যবহার করতে সক্ষম। এর একটি গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ হলো ওয়াল্ট ডিজনির মিকি মাউসের সৃষ্টি। মিকি মাউসের গ্রাফিক্স এবং ধারণাটি পাবলিক ডোমেইনে রয়েছে, অর্থাৎ বিবিসির মতো অন্যান্য সংস্থাগুলো যদি ইচ্ছা করে তবে এই ধারণাটি একটি স্কেচে ব্যবহার করতে পারে। এর মানে হলো, যদিও আমরা মিকি মাউসকে একটি কার্টুন শিশু ক্লাসিক হিসেবে যুক্ত করেছি, আমরা তাকে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের একটি স্কেচে দেখতে পাচ্ছি।
=== By ===
"By" আপনাকে একটি কাজকে আপনি যেভাবে চান তেমন করে রিমিক্স, সম্পাদনা এবং বিতরণ করার অনুমতি দেয়। তবে, আপনাকে বিবেচনা করতে হবে কাজটি কোথা থেকে এসেছে এবং মূল সৃষ্টিকারীর গুরুত্বকে স্বীকৃতি দিতে হবে।
'''অ্যাট্রিবিউশন'''
CC BY Attribution অন্যদের এমন কাজ বিতরণ, সম্পাদনা এবং যোগ করার সুযোগ দেয় যা ইতিমধ্যেই তৈরি করা হয়েছে, যতক্ষণ না তারা মূল লেখককে কৃতিত্ব দেয়। মূলত এটি সবচেয়ে সুবিধাজনক লাইসেন্স। এটি আপনাকে আপনার প্রয়োজন অনুসারে নিবন্ধটি তৈরি করতে সক্ষম করে।
'''অ্যাট্রিবিউশন-শেয়ারঅ্যালাইক'''
CC BY-SA এই লাইসেন্সটি আপনাকে অ্যাট্রিবিউশন লাইসেন্সিংয়ের মতোই কাজ করার সুযোগ দেয়, তবে এটি কেবলমাত্র বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে সম্পন্ন করা হয় এবং তারা তাদের নতুন সৃষ্টিগুলোকে একই শর্তে ক্রেডিট এবং লাইসেন্স দেয়। অ্যাট্রিবিউশন- শেয়ারঅ্যালাইককে প্রায়ই 'কপিলেফট' ফ্রি এবং ওপেন সফটওয়্যার লাইসেন্স বলা হয়। উইকিপিডিয়া এই ধরণের লাইসেন্স ব্যবহার করে।
'''অ্যাট্রিবিউশন-নোডেরিভস'''
CC BY-ND এই লাইসেন্সটি বাণিজ্যিক এবং অ-বাণিজ্যিক উভয় ক্ষেত্রেই পুনর্বণ্টনের সুযোগ দেয়, যতক্ষণ না এটি অপরিবর্তিত এবং সম্পূর্ণরূপে আপনার কৃতিত্বের সাথে পাস করা হয়।
'''অ্যাট্রিবিউশন-অ-বাণিজ্যিক'''
CC BY-NC অ্যাট্রিবিউশন-শেয়ারঅ্যালাইকের অনুরূপ, এই লাইসেন্সটি আপনাকে কাজ যোগ করতে, পরিবর্তন করতে এবং নির্মাণ করতে সক্ষম করে, তবে তা বাণিজ্যিক নয় এমন পরিবেশেও। নতুন সৃষ্টিকর্মকে আপনার পরিবর্তন এবং অ-বাণিজ্যিক উপাদান স্বীকার করতে হবে, তবে এটি একই লাইসেন্সের অধীনে হতে হবে না।
'''অ্যাট্রিবিউশন-ননকমার্শিয়াল-শেয়ারঅ্যালাইক'''
CC BY-NC-SA অ্যাট্রিবিউশন-ননকমার্শিয়ালের মতো মূল পার্থক্য হলো যে আপনাকে একই শর্তে নতুন কাজের লাইসেন্স দিতে হবে।
'''অ্যাট্রিবিউশন-ননকমার্শিয়াল-নোডেরিভস'''
CC BY-NC-ND এই লাইসেন্সটি সবচেয়ে সীমাবদ্ধ, শুধুমাত্র অন্যদের আপনার কাজ ডাউনলোড করতে এবং অন্যদের সাথে শেয়ার করতে দেয় যতক্ষণ না তারা মূল লেখককে কৃতিত্ব দেয়।
'''প্রভাব'''
ব্রাউসার্ড ক্রিয়েটিভ কমন্সকে কপিলেফট আন্দোলনের অগ্রভাগে বলে বর্ণনা করেছেন। এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে "সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত" কপিরাইটের একটি বিকল্প প্রদান করার চেষ্টা করছে (২০০৭)। বিকল্পভাবে, ডেভিড বেরি ক্রিয়েটিভ কমন্সকে বুদ্ধিজীবী সম্পত্তির বিষয়টিতে আগ্রহ তৈরি করার জন্য এবং "তথ্য যুগে" "কমন্স" এর ভূমিকা পুনর্বিবেচনা করার জন্য কৃতিত্ব দেন, তিনি বলেন "ক্রিয়েটিভ কমন্সে এমন প্রতিষ্ঠানিক, ব্যবহারিক এবং আইনগত সহায়তা রয়েছে যা افراد এবং গোষ্ঠীগুলোকে সংস্কৃতি নিয়ে আরও স্বাধীনভাবে পরীক্ষাগুলো এবং যোগাযোগ করতে চায়।" (বেরি, ডি, ২০০৫)। লেস্টিগ, অন্যদিকে আধুনিক সংস্কৃতিকে ঐতিহ্যবাহী কনটেন্ট বিতরণকারীদের দ্বারা আধিপত্যে ছিল বলে বর্ণনা করেছেন, সাংস্কৃতিক পণ্য যেমন সঙ্গীত এবং সিনেমার উপর মনোপলি বজায় রাখতে বা বৃহত্তর করতে, তিনি বলেছেন "ক্রিয়েটিভ কমন্স এই বিধিনিষেধগুলোর বিকল্প দিতে পারে" (লেস্টিগ, ২০০৬)।
== উন্মুক্ত উৎসের ও মালিকানাধীন সফটওয়্যারের উদাহরণ ==
=== ইউনিক্স এবং গ্নু ===
[http://www.unix.org/ ইউনিক্স] ১৯৬৯ সালে বেল ল্যাবসে তৈরি করা হয়েছিল এবং এটি কম্পিউটিং ইতিহাসের প্রাচীনতম অপারেটিং সিস্টেমগুলোর মধ্যে একটি। এটিই সেই ভিত্তি যার উপর Mac OS X নির্মিত। এটি অনেকগুলো ভিন্ন মেশিনে চালানো যেতে পারে, এবং ইউনিক্স কম্পিউটারগুলো নেটওয়ার্কগুলোতে একসাথে কাজ করতে পারে। ইউনিক্স ছিল একটি মালিকানাধীন সিস্টেম কারণ বেল ল্যাবস কপিরাইট সুরক্ষিত রেখেছিল যাতে এটি একটি বন্ধ সিস্টেম ছিল যা ভাগ করা যেত না। একটি সিস্টেমে কাজ করার জন্য ইউনিক্স কোডটি সোর্স কোড বই থেকে ম্যানুয়ালি প্রবেশ করতে হত। এটি আজ আমাদের কাছে অত্যন্ত অদক্ষ বলে মনে হয়।
উন্মুক্ত উৎসের নেটওয়ার্কের উন্নয়নে রিচার্ড স্টলম্যান ছিলেন মৌলিক ভূমিকা পালনকারী। তিনি ইউনিক্সকে আরও ভাগ করে নেওয়ার যোগ্য উন্মুক্ত সিস্টেমে রূপান্তর করতে চেয়েছিলেন। ১৯৮৪ সালে তিনি [http://www.fsf.org/ ফ্রি সফটওয়্যার ফাউন্ডেশন] (এফএসএফ) তৈরি করেন। এফএসএফ-এর মূল লক্ষ্য ছিল সফটওয়্যারকে আরও উন্মুক্ত এবং প্রাপ্যতাযোগ্য করে তোলা, ঠিক যেমন প্রাথমিক কম্পিউটিং বুদ্ধিমত্তা এবং বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার ভাগ করে নেওয়ার উপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। স্টলম্যান গ্নু ("গ্নু is not ইউনিক্স") আবিষ্কার করেন ইউনিক্সকে নতুনভাবে পুনর্নির্মাণ করে যাতে এটি উন্মুক্ত এবং ভাগ করে নেওয়া যায়, যাতে ব্যবহারকারীরা তাদের ইচ্ছামত কোডটি মানিয়ে নিতে এবং পরিবর্তন করতে পারে। গ্নু যে কোনও সিস্টেমে চলতে সক্ষম ছিল যা ইতিমধ্যেই ইউনিক্স সমর্থন করে। স্টলম্যান গ্নু-কে একটি নতুন সিস্টেমের অধীনে লাইসেন্স দিয়েছিলেন যার নাম জেনারেল পাবলিক লাইসেন্স (জিপিএল। এটি "কপিলেফট" নামেও পরিচিত) যাতে গ্নু-কে মালিকানাধীন সফটওয়্যারে পরিণত হতে না পারে।
=== লিনাক্সের সাফল্য ===
লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেম একটি উন্মুক্ত উৎসের প্রকল্পের একটি গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ যা ক্রমশ শক্তিশালী হচ্ছে। এই প্রকল্পের সহযোগিতার সম্ভাবনাগুলো নিজেই নেটওয়ার্কের শক্তির প্রতিনিধিত্ব করে। কারণ এর প্রাথমিক পর্যায়ে যখন খুব কম অবদানকারী অংশগ্রহণ করছিলেন তখনও তাদের সারা বিশ্বে পাওয়া যেত। এই ব্যবস্থার সাফল্যের পেছনে অনেকগুলো কারণ রয়েছে, যেমন সম্পত্তির অধিকারের প্রতি বিশেষ দৃষ্টিভঙ্গি যা এর লাইসেন্স গঠন করে। লিনাক্সের [[গ্নু জেনারেল পাবলিক লাইসেন্স|জেনারেল পাবলিক লাইসেন্স]] (জিপিএল) সিস্টেমের ক্রমাগত উন্নয়নকে এর উপর ভিত্তি করে তৈরি হিসেবে স্বীকৃতি দেয়, তবে এটি পুনর্বণ্টনের সময় এর উপর কোনও বিধিনিষেধ আরোপের সুযোগ দেয় না। এটি বার্কলে সফটওয়্যার ডিস্ট্রিবিউশন (বিএসডি) লাইসেন্সের একটি বিকল্প। এটি প্রোগ্রামারদের সিস্টেম উন্নত করার জন্য একই স্বাধীনতা প্রদান করে না।
লিনাক্সের সাফল্যের আরেকটি কারণ হলো প্রকল্পের জন্য অব্যাহত, ঐক্যবদ্ধ সমর্থন। এটি প্রকল্প নেতাদের দ্বারা গৃহীত সিদ্ধান্ত এবং নিয়ম প্রত্যাখ্যান করার ঝুঁকি সম্পর্কে বোঝার কারণে। যারা প্রস্তাবিত কোড পরিবর্তন গ্রহণ করতে ব্যর্থ হন, তাদের জন্য প্রাথমিক প্রকল্প থেকে আলাদা হয়ে তাদের পরিবর্তনগুলো বাস্তবায়িত করে একটি নতুন প্রকল্প স্থাপন করার সুযোগ রয়েছে, যাকে "ফর্কিং" বলা হয়। <ref>Weber, S. (2004). ''Success of Open Source.'' Cambridge: Harvard University Press, p.64</ref> যদিও কিছু ডেভেলপার এটিকে উন্মুক্ত উৎসের প্রোগ্রামিংয়ের একটি অপরিহার্য অধিকার হিসেবে দেখেন, তবুও এই প্রক্রিয়ায় ঝুঁকি রয়েছে। লিনাক্সের ক্ষেত্রে, প্রলিফিক ফর্কিং কর্মীদের বিভক্ত করার এবং সামগ্রিক উৎপাদনশীলতা হ্রাস করার ঝুঁকি বহন করে। অধিকন্তু, আরও প্রকল্পের সাথে সাথে একটি প্রকল্পে উল্লেখযোগ্য সমস্যা দেখা দেওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। এটি প্রতিটি প্রকল্পের উপর খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে, ফর্কিংয়ের মাধ্যমে উদ্ভূত প্রকল্প থেকে শুরু করে প্রাথমিক প্রকল্প পর্যন্ত। <ref>Weber, S. (2004). ''Success of Open Source.'' Cambridge: Harvard University Press, p.159</ref> দক্ষতা এবং উৎপাদনশীলতার এই ভাঙ্গনের ফলে বেশ কয়েকটি প্রকল্প, সম্ভবত সবগুলোই ব্যর্থ হতে পারে। লিনাক্সের দীর্ঘ জীবনকাল এবং অব্যাহত, দীর্ঘমেয়াদী সহযোগিতার সম্ভাবনা উপরে উল্লিখিত ঝুঁকিগুলোর জন্য ঝুঁকি নেওয়ার প্রবণতাকে নিরুৎসাহিত করে, তাই এটি এখনও পর্যন্ত এটির অভিজ্ঞতা লাভ করেনি। <ref>Weber, S. (2004). ''Success of Open Source.'' Cambridge: Harvard University Press, p.159</ref>
উন্মুক্ত উৎসের ফরম্যাটের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সুবিধা থেকে লিনাক্সও উপকৃত হয়। ঐতিহ্যবাহী মালিকানাধীন ব্যবস্থায়, প্রত্যেকের কাছ থেকে প্রায় সমান পরিমাণে কাজের অবদান আশা করা হয়। তবে ওপেন সোর্সে, অবদানকারীদের একটি ছোট শতাংশের জন্য কাজের একটি বড় অংশ সম্পাদন করা সাধারণ, এবং বিপুল সংখ্যক অপ্রাপ্তবয়স্ক অবদানকারীদের জন্য কেবল এক বা দুটি অবদান রাখা স্বাভাবিক। তবুও, জর্ডান যুক্তি দেন যে একটি উন্মুক্ত উৎসের প্রকল্পের প্রেক্ষাপটে, একজন ব্যক্তি এমন একটি কাজ সম্পন্ন করতে পারেন যা অন্যথায় সম্পন্ন নাও হতে পারে। যদি একজন ব্যক্তি মাত্র একটি অবদানের মাধ্যমেও গ্রুপ প্রকল্পের উন্নতি করেন, তাহলে সকলেই আরও ভালো পণ্য পেয়ে উপকৃত হবেন।
পরিসংখ্যান থেকে জানা যায় যে ইন্টারনেটের ৩৬.২% ওয়েবসাইট লিনাক্স ব্যবহার করে। এরিকের মতে, লিনাক্স একটি বিকেন্দ্রীভূত উন্নয়ন পদ্ধতি [http://www.fao.org/docs/up/easypol/342/decen_dev_in_agri_012en.pdf] গ্রহণ করেছে। "ক্যাথেড্রাল অ্যান্ড দ্য বাজার" এবং অনুরূপ কাজে এস রেমন্ডের পরীক্ষা। এই পদ্ধতির ফলে অবদানকারীরা একটি সংবেদনশীলহীন সাংগঠনিক কাঠামোর মধ্যে ক্রমাগত কাজ করতে সক্ষম হন। লিনাক্সের অপারেটিং সিস্টেমের বৈশিষ্ট্যগুলোও এর সাফল্য বিশ্লেষণ করার সময় বিবেচনা করার মতো আরেকটি সম্ভাব্য কারণ। লিনাক্স এবং ইউনিক্সের মতো অন্যান্য অপারেটিং সিস্টেমের মধ্যে প্রযুক্তিগত বৈপরীত্য রয়েছে যা লিনাক্সের সাফল্য নিয়ে আলোচনা করার সময় মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ। একটি নির্দিষ্ট উৎস অনুসারে, কার্নেলের গণিত কোপ্রসেসর ব্যবহার না করেই 387-FPU নির্দেশাবলী এবং সিস্টেম অনুকরণ করার ক্ষমতা রয়েছে এবং একাধিক প্রোগ্রাম চালানোর ক্ষমতা রয়েছে যার জন্য ফ্লোট-পয়েন্ট গণিত ক্ষমতার একটি স্তর প্রয়োজন। লিনাক্স ডেটা স্টোরেজের জন্য বিভিন্ন ফাইল সিস্টেম সমর্থন করে, এবং ext2 ফাইল সিস্টেমের মতো। এটি বিশেষভাবে লিনাক্সের জন্য তৈরি করা হয়েছিল।
=== অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস ===
==== অ্যান্ড্রয়েডের উন্নয়ন ====
[[চিত্র:Android_robot.png|থাম্ব| অ্যান্ড্রয়েড লোগো]]
২০০৭ সালের ৫ নভেম্বর তারিখে গুগলের মোবাইল ফোন অপারেটিং সিস্টেম [[Android(operating system)|অ্যান্ড্রয়েড]] সর্বজনীনভাবে আত্মপ্রকাশ করে। এর বিশ্বব্যাপী প্রবর্তন [[ওপেন হ্যান্ডসেট অ্যালায়েন্স|ওপেন হ্যান্ডসেট অ্যালায়েন্সের]] সৃষ্টি এবং প্রবর্তনের সাথেও সম্পর্কিত। কোম্পানিগুলোর একটি কনসোর্টিয়াম যারা তাদের পণ্যগুলোতে নতুন তৈরি অ্যান্ড্রয়েড সফটওয়্যার প্রয়োগ করে। কনসোর্টিয়ামটি জনসমক্ষে প্রকাশিত হওয়ার সময় এর ৩৪ সদস্যের তালিকায় টি-মোবাইল, [[স্যামসাং ইলেকট্রনিক্স]], [[এইচটিসি]] এবং [[সনি|সনির]] মতো কোম্পানিগুলো অন্তর্ভুক্ত ছিল। পরবর্তী বছরগুলোতে, [[তোশিবা]], এসার এবং [[ভোডাফোন|ভোডাফোনের]] মতো কোম্পানিগুলো যোগদানের সাথে সাথে সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। <ref>http://www.cnet.com/uk/news/googles-open-handset-alliance-gains-14-new-members/</ref> এই জোটটি ছিল গুগলের অ্যান্ড্রয়েডকে একটি উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যার হিসেবে বিকাশের সিদ্ধান্তের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপজাত।
রিচ মাইনার, [[অ্যান্ডি রুবিন]] এবং নিক সিয়ার্সকে সাধারণত অ্যান্ড্রয়েডের উদ্ভাবক হিসেবে কৃতিত্ব দেওয়া হয়। <ref>http://uk.businessinsider.com/how-android-was-created-2015-3?r=US&IR=T</ref> ২০০৫ সালে গুগল কর্তৃক কেনার আগে তারা একসাথে একটি ছোট কোম্পানি, Android.inc, হিসেবে অ্যান্ড্রয়েডে কাজ করেছিল। তাদের অধিগ্রহণের পর উপলব্ধ তহবিল বৃদ্ধি এবং প্রচুর নতুন সম্পদের আধিক্য উন্নয়ন প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে। দুই বছর পর প্রথম সর্বজনীনভাবে উপলব্ধ অ্যান্ড্রয়েড সফটওয়্যার তৈরি করা হয়। গুগল মূলত অ্যাপলের আইওএস-এর উন্নয়নের বিরোধিতা করে অপারেটিং সিস্টেমটি তৈরি করেছিল। ২০১০ সালে গুগলের আই/ও সম্মেলনের মূল বক্তৃতায়, গুগলের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট সোশ্যাল ভিক গুন্ডোত্রা দাবি করেছিলেন, "আমরা যদি পদক্ষেপ না নিই, তাহলে আমরা এক ভয়াবহ ভবিষ্যতের মুখোমুখি হব যেখানে একজন মানুষ, একজন ফোন, একজন ক্যারিয়ারই হবে ভবিষ্যৎ। এমন একটি ভবিষ্যৎ আমরা চাই না।" <ref>http://www.theatlantic.com/technology/archive/2013/12/the-day-google-had-to-start-over-on-android/282479/</ref>
অ্যান্ড্রয়েড প্রকাশের প্রায় এক বছর আগে, [[স্টিভ জবস]] ৯ জানুয়ারি, ২০০৭ তারিখে অ্যাপল আইফোন চালু করেছিলেন। গুগলের ভেতরে এই ঘোষণার প্রতিক্রিয়া ছিল অবাক করার মতো। গুগলের একজন কর্মচারী, ক্রিস ডিসালভো মন্তব্য করেছেন;<div align="center">
'''"একজন ভোক্তা হিসেবে আমি অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। আমি তাৎক্ষণিকভাবে একটি চাইছিলাম। কিন্তু একজন গুগল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে, আমি ভেবেছিলাম 'আমাদের নতুন করে শুরু করতে হবে। নব্বইয়ের দশকে আমরা যা হঠাৎ করে দেখেছিলাম তা এমন একটি জিনিস যা দেখলেই স্পষ্ট হয়ে ওঠে।"'''
</div>এই ঘোষণা অনুসারে অ্যান্ড্রয়েড ইঞ্জিনিয়ারদের দ্বারা তাড়াতাড়ি কিছু পরিবর্তন করা হয়। বিশেষ করে তাদের পণ্যে 'টাচস্ক্রিন' যুক্ত করা হয়। যদিও অ্যাপলের ঘোষণা অ্যান্ড্রয়ের আগে এসেছিল। এটি তাদের বাজারে সাময়িকভাবে লাভবান করতে সুবিধা দিয়েছিল। বিষয়টি অ্যান্ড্রয়েরডের একটি সুবিধাজনক অবস্থান হিসেবে দেখা হয়। কারণ এর ফলেঅ্যাপল কী মিস করেছে তা অ্যান্ড্রয়েরডের ইঞ্জিনিয়ারদেরকে দেখার সুযোগকরে দেয়।
অ্যান্ড্রয়েড উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যার লিনাক্সের উপর ভিত্তি করে তৈরি। ফলে এর সোর্স কোড সকলের জন্য প্রাপ্যতাযোগ্য করে তোলে, অ্যান্ড্রয়েডের লিনাক্স পিসিতে আমরা যে লিনাক্স ব্যবহার করি তার থেকে ভিন্নভাবে কাজ করে। পিসির মতো অ্যান্ড্রয়েড লিনাক্স কার্নেল সংস্করণের একটি পরিবর্তিত সংস্করণ ব্যবহার করে।তবে একই সংস্করণ নয়। অ্যান্ড্রয়েডের জন্য লিনাক্স স্মার্টফোনের কথা মাথায় রেখে ডিজাইন করা হয়েছে ।তাই মূল কার্নেলে অন্যান্য সমন্বয়ের সাথে টাচ-স্ক্রিন প্রোগ্রামিং যোগ করা হয়েছে। নিচে কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপাদানের তালিকা দেওয়া হলো।
* অ্যালার্ম ড্রাইভার: ডিভাইসগুলোকে ঘুম থেকে জাগানোর জন্য টাইমার সরবরাহ করে
* Ashmem: অ্যাপ্লিকেশনগুলোকে মেমরি ভাগ করে নেওয়ার সুযোগ দেয় এবং কার্নেল স্তরে ভাগ করে নেওয়ার ব্যবস্থা করে।
* বাইন্ডার ড্রাইভার: আন্তঃ-প্রক্রিয়া যোগাযোগ সহজতর করে কারণ শেয়ার্ড মেমোরি ব্যবহারের মাধ্যমে একাধিক অ্যাপ্লিকেশন দ্বারা ডেটা ভাগ করা যায়। IPC হিসেবে নিবন্ধিত একটি পরিষেবা
পরিষেবা প্রদানকারীদের বিভিন্ন থ্রেড নিয়ে চিন্তা করতে হবে না কারণ বাইন্ডার সেগুলো পরিচালনা, পর্যবেক্ষণ এবং পরিচালনা করবে। বাইন্ডার প্রক্রিয়াগুলোর মধ্যে সিঙ্ক্রোনাইজেশনেরও যত্ন নেয়।
* পাওয়ার ম্যানেজমেন্ট: স্ট্যান্ডার্ড লিনাক্স পাওয়ার ম্যানেজমেন্ট (PM) এর উপরে তৈরি এবং
বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনা এবং সাশ্রয়ের জন্য আরও আক্রমণাত্মক নীতি গ্রহণ করুন। <ref>http://www.handycodeworks.com/wp-content/uploads/2011/02/linux_versus_android.pdf</ref>
গুগল কেন অ্যান্ড্রয়েডকে একটি উন্মুক্ত উৎসের অপারেটিং সিস্টেম বানিয়েছে তা বিতর্কের বিষয়। বিরোধীরা যুক্তি দেন যে সিদ্ধান্তটি মূলত আর্থিক ভিত্তিক ছিল। উন্মুক্ত উৎসের প্রযুক্তির লাভ-ভিত্তিক একাধিক সুবিধা রয়েছে। এটি মূলত সিস্টেমের ব্যাপক জনপ্রিয়তার কারণে। এটি গুগলের নাগাল আরও বাড়িয়ে তোলে এবং তাদের ভোক্তা জনসংখ্যার পরিধি প্রসারিত করে। তবে তাদের ওয়েবসাইটে, অ্যান্ড্রয়েড ব্যাখ্যা করেছে কেন তারা একটি উন্মুক্ত উৎসের সিস্টেম ব্যবহার করে;
'''"অ্যান্ড্রয়েডের প্রাথমিক উদ্দেশ্য হলো ক্যারিয়ার, ওইএম এবং ডেভেলপারদের জন্য একটি উন্মুক্ত সফটওয়্যার প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা যাতে তারা তাদের উদ্ভাবনী ধারণাগুলোকে বাস্তবে রূপ দিতে পারে এবং একটি সফল, বাস্তব-বিশ্বের পণ্য প্রবর্তন করতে পারে যা ব্যবহারকারীদের জন্য মোবাইল অভিজ্ঞতা উন্নত করে। আমরা আরও নিশ্চিত করতে চেয়েছিলাম যে ব্যর্থতার কোনও কেন্দ্রীয় বিন্দু নেই, যেখানে একজন শিল্প খেলোয়াড় অন্য কারও উদ্ভাবনকে সীমাবদ্ধ বা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।"''' <ref>https://source.android.com/source/</ref>
==== আইওএসের উন্নয়ন ====
[[চিত্র:Steve_Jobs_presents_iPhone.jpg|থাম্ব| স্টিভ জবস আইফোন উপস্থাপন করছেন]]
অ্যাপলের মোবাইল ফোন অপারেটিং সিস্টেম, [[আইওএস]]। এটি পূর্বে ওএস নামে পরিচিত ছিল, ৯ জানুয়ারি, ২০০৭ সালে আইফোন প্রবর্তনের মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ করে। প্রথম আইফোনগুলো সেই গ্রীষ্মের পরে বিক্রি শুরু হবে। আইওএসের নকশা অ্যাপল ম্যাকিনটোশের অপারেটিং সিস্টেম ওএস এক্স-এর উপর ভিত্তি করে তৈরি। স্টিভ জবস কর্তৃক আইপড প্রোগ্রামিং এবং ম্যাকিনটোশ প্রোগ্রামিংয়ের মধ্যে একটি প্রতিযোগিতার পর এই সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে ম্যাকিনটোশ ভিত্তিক একটি সিস্টেমই সবচেয়ে উপযুক্ত। ম্যাকিনটোশ দলের নেতৃত্বে ছিলেনস্কট ফরস্টল। তাকে অ্যাপ স্টোর তৈরি এবং বিকাশের জন্য কৃতিত্ব দেওয়া হয়। <ref>http://www.bloomberg.com/news/articles/2011-10-12/scott-forstall-the-sorcerers-apprentice-at-apple</ref>
আইওএস একটি মালিকানাধীন অপারেটিং সিস্টেম এবং তাই এর সোর্স কোড প্রাপ্যতাযোগ্য বা পরিবর্তনযোগ্য নয়। অ্যাপলই একমাত্র কোম্পানি যার পণ্যে আইওএস ব্যবহারের সুযোগ এবং বৈধতা রয়েছে। অপারেটিং সিস্টেম পরিবর্তনের ক্ষেত্রে ব্যবহারকারীদের সীমিত প্রাপ্যতাের কারণে, জেলব্রেকিংয়ের প্রক্রিয়াটি জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে অ্যান্ড্রয়েডের মতো অপারেটিং সিস্টেমে বিরোধী সফটওয়্যারের উপাদান রয়েছে, এই ক্ষেত্রে ওপেন সোর্স। এমন দাবি করা হয়েছে যে স্টিভ জবস আসলে ওপেন সোর্সের একজন পথিকৃৎ ছিলেন। আইওএস-ভিত্তিক ম্যাক অপারেটিং সিস্টেমটি নিজেই ডারউইনের উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যারের উপর ভিত্তি করে তৈরি। ডারউইন ২০০৩ সালে অ্যাপল দ্বারা একটি বিনামূল্যের এবং উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যার লাইসেন্সের অধীনে প্রকাশিত হয়েছিল। অধিকন্তু, স্টিভ জবস দাবি করেছেন যে অ্যান্ড্রয়েড "আসলে তেমন খোলা নয়" তিনি উল্লেখ করেছেন যে কিছু মোবাইল ডিভাইস কোম্পানি যেমন এইচটিসি তাদের ইন্টারফেসে মালিকানাধীন সফটওয়্যার ব্যবহার করেছে। তিনি এতে অসন্তোষ প্রকাশ করেন কারণ এর ফলে ব্যবহারকারীদের নিজেরাই এটি সমাধান করতে হয়। এটিকে অ্যাপল মালিকানাধীন সফটওয়্যার বাস্তবায়নের অন্যতম কারণ হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে; ডিভাইসের ব্যবহারকারী-বান্ধবতা উন্নত করার জন্য।
অ্যান্ড্রয়েডের মতোই, যুক্তি দেওয়া হয় যে এই সিদ্ধান্তটি মূলত আর্থিক ভিত্তিক ছিল। সফটওয়্যারটির কপিরাইট করার মাধ্যমে তারা অন্যান্য কোম্পানিগুলোকে এটি ব্যবহার থেকে বিরত রাখে, তাই যারা ইন্টারফেসটি উপভোগ করেছেন তাদের অ্যাপল পণ্য কিনতে হবে। অ্যাপল স্বীকার করেছে যে অনলাইন সম্প্রদায়ের মধ্যে, বিশেষ করে হ্যাকার সম্প্রদায়ের মধ্যে, প্রোপ্রাইটারিকে অবজ্ঞা করা হয়, তাই তারা টাচস্ক্রিন এবং হোম বোতামের মতো নির্দিষ্ট উদ্ভাবনী বৈশিষ্ট্যগুলোর উপর IOS প্রকাশের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করেছে। মালিকানাধীন সমালোচকরা যুক্তি দেন যে উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যার অ্যাপলের জন্য অনিবার্য। <ref>http://www.wired.com/2015/06/open-sourcing-no-longer-optional-not-even-apple/</ref> তাদের যুক্তি হলো, অ্যাপল যদি প্রতিটি নতুন সংস্করণের সাথে মালিকানার মাত্রা বৃদ্ধি করতে থাকে, তাহলে তারা তাদের জনপ্রিয় অ্যাপ্লিকেশনগুলোর বেশিরভাগের জন্য নির্ভরশীল ডেভেলপারদের বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার ঝুঁকিতে পড়বে। মাইক্রোসফটের লিনাক্সের সাম্প্রতিক গ্রহণযোগ্যতা অ্যাপলের উপর আরও চাপ সৃষ্টি করেছে কারণ মাইক্রোসফটের মালিকানাধীন সফটওয়্যারের সাথে দীর্ঘদিনের মৌলিক সম্পর্ক রয়েছে।
==== বিতর্কের ভূমিকা ====
বিপরীত অপারেটিং সিস্টেমগুলোকে ঘিরে বিতর্কের ব্যবহারিক এবং আদর্শিক উভয় দিক থেকেই গুরুত্ব রয়েছে। ব্যবহারিকতার বিষয়গুলো অনলাইন ফোরামগুলোতে প্রাধান্য পায় এবং প্রায়ই উভয়ের মধ্যে তুলনা করা হয়। ব্যবহারকারী-বান্ধবতা, গোপনীয়তা, নিরাপত্তা, কাস্টমাইজেবিলিটি এবং অ্যাপ্লিকেশনগুলো সরাসরি অপারেটিং সিস্টেমের প্রকৃতি দ্বারা প্রভাবিত হয়, তা মালিকানাধীন হোক বা ওপেন সোর্স। সাধারণ জনগণের কাছে এগুলো বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে হয়। কিন্তু কিছু মানুষের কাছে, বিশেষ করে হ্যাকার সম্প্রদায় এবং ইন্টারনেট কর্মীদের মধ্যে যারা আছেন তাদের কাছে, বিপরীত অপারেটিং সিস্টেমগুলো বিপরীত মতাদর্শের প্রতিনিধিত্ব করে। অ্যান্ড্রয়েডকে 'জনস্বার্থ' হিসেবে দেখা হয়, যেখানে আইওএস 'মানুষের স্বার্থের' প্রতিনিধিত্ব করে। মাইক্রোসফটের গবেষণা সমাজবিজ্ঞানী মার্ক এ. স্মিথ ব্যাখ্যা করেছেন কিভাবে এই দুটির মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখার প্রয়োজন। তিনি "মুক্ত রাইডার" ধারণাটি বর্ণনা করেছেন যারা জনসাধারণের কল্যাণে অবদান না রেখেই তা ব্যবহার করে। এই ধারণাটি বেশিরভাগ অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীদের জন্য প্রযোজ্য হবে যারা সোর্স কোড প্রাপ্যতা বা পরিবর্তন করেন না।
বিরোধী মতাদর্শের পাশাপাশি এটি বিরোধী [[বিবর্তন|বিবর্তনীয় ব্যাখ্যার]] প্রতিনিধিত্ব করে। এমন ধারণা রয়েছে যে প্রতিযোগিতাই ছিল বিবর্তনের একমাত্র চালিকা শক্তি। এটি আইওএস এবং মালিকানাধীন সফটওয়্যারকে সমাজের জন্য সাধারণত উপকারী হিসাবে ব্যাখ্যা করবে। এর বিরোধিতা করা হয় এই দাবির মাধ্যমে যে সহযোগিতা বিবর্তনের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক এবং বর্ধিত প্রাণীজগতেও এটি প্রতিনিধিত্ব করে। <ref>Rheingold, H. (2003). Smart mobs. Cambridge, MA: Perseus Pub. pg39</ref> লিনাক্সকে বর্ণনা করা হয়েছে, "ডেভেলপারদের দ্বারা প্রবর্তিত মিউটেশনের উপর এক ধরণের দ্রুত ডারউইনীয় নির্বাচন তৈরি করা।" "
অনেক দিক থেকেই অপারেটিং সিস্টেমের স্পষ্ট উল্লেখ ছাড়াই জনপ্রিয় বিতর্কটি ঘটেছে। দুটি সর্বাধিক জনপ্রিয় অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে তারা তাদের নিজস্ব ফ্যান ওয়েবসাইট এবং মিটআপের মাধ্যমে উৎসাহী ভক্তদের আকর্ষণ করেছে। সিস্টেমগুলো গুগল এবং অ্যাপলের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্বদের, যেমন স্টিভ জবসের সাথে সেলিব্রিটির লড়াইয়ে প্রবেশ করেছে, অপারেটিং সিস্টেমের চেয়ে বেশি বিখ্যাত হয়ে উঠেছে। নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক এরিক রোবেলস-অ্যান্ডারসন এবং অন্যান্যরা অ্যাপলকে একটি ' ধর্ম-সংস্কৃতি ' হিসেবে বর্ণনা করেছেন। <ref>http://www.techinsider.io/nyu-professor-says-apple-is-a-cult-2015-9</ref> এটিই ছিল 'ম্যাকহেডস' তথ্যচিত্রের ভিত্তি। অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস-এর এখন বিশাল সংখ্যক প্রতিষ্ঠিত ভক্ত রয়েছে যারা তাদের নিজ নিজ অপারেটিং সিস্টেমের প্রতি অনুগত এবং একে অপরের পণ্য কিনবে না <ref>http://www.telegraph.co.uk/technology/apple/10632787/iPhone-owners-admit-having-blind-loyalty-to-Apple.html</ref>
==== অ্যান্ড্রয়েডের সুবিধা এবং সমালোচনা ====
'''প্রাপ্যতা এবং সামঞ্জস্য'''
ব্যবহারকারীদের কাছে এর বিশাল প্রাপ্যতার জন্য অ্যান্ড্রয়েড ধারাবাহিকভাবে প্রশংসিত হয়। এটি এর উন্মুক্ত উৎসের বৈশিষ্ট্যের প্রত্যক্ষ ফলাফল। অনেক কোম্পানি তাদের পণ্যে অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহার করে। এর ফলে গ্রাহকরা আইওএস পরিচালিত পণ্যের তুলনায় ফোন এবং ট্যাবলেটের একটি উল্লেখযোগ্য বিস্তৃত নির্বাচন থেকে পছন্দ করতে পারেন। বিপুল সংখ্যক অ্যান্ড্রয়েড প্রস্তুত ডিভাইসের কারণে পরবর্তীতে অ্যান্ড্রয়েড ৮০% এরও বেশি শেয়ার নিয়ে বাজারে আধিপত্য বিস্তার করতে সক্ষম হয়েছে। <ref>http://www.idc.com/prodserv/smartphone-os-market-share.jsp</ref> এটি সাধারণত (অ্যাপাচি সফটওয়্যার লাইসেন্স ২.০ (এপিএল২.০), একটি বিনামূল্যের সফটওয়্যার লাইসেন্সের অধীনে পরিচালিত লাইসেন্সের কারণে, নির্মাতারা তাদের নিজস্ব স্পেসিফিকেশন অনুসারে সোর্স কোড পরিবর্তন করতে পারে। <ref>http://www.idc.com/prodserv/smartphone-os-market-share.jsp</ref> এইভাবে অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীরা নির্মাতার উপর নির্ভর করে ভিন্ন অভিজ্ঞতা পেতে পারেন। এটি বৈচিত্র্য এবং পছন্দ বৃদ্ধির কারণে উপকারী বলে মনে করা হয়, তবে বিভিন্ন অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং ডিভাইসের মধ্যে মানের বৈষম্যের জন্য এটি সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছে।
'''কাস্টমাইজেবিলিটি'''
অ্যান্ড্রয়েডে, কাস্টমাইজেশনকে প্রকাশ্যে উৎসাহিত করা হয় এবং তাই এটি অনেক হ্যাকারের কার্যত পছন্দ। কাস্টমাইজেশনের এই সুযোগটি ব্যাপক, যেখানে ব্যবহারকারীরা আরও জটিল কাজ করতে পারবেন, যেমন সোর্স কোডে অবদান রাখা এবং প্রচলিত কাস্টমাইজেশনের ত্রুটিগুলো সনাক্ত করা, যেমন টোয়াইলাইট এবং এয়ারড্রয়েডের মতো অ্যাপ ইনস্টল করা এবং অ্যাপ আইকন পরিবর্তন করা। সোর্স কোডটি উপলব্ধ এবং ব্যবহারকারীদের ইচ্ছানুযায়ী ব্যবহার করার জন্য প্রস্তুত। কাস্টমাইজেশনের সাথে এর ইতিবাচক প্রভাবের দুটি ধারণা রয়েছে; অভ্যন্তরীণ এবং বাহ্যিক। অভ্যন্তরীণ বলতে ব্যবহারকারীর নিজস্ব কাস্টমাইজেশন সম্পাদনের মাধ্যমে অর্জিত সন্তুষ্টি বোঝায়, অন্যদিকে বহির্মুখী বলতে কাস্টমাইজেশনের ফলে হওয়া উন্নতির মাধ্যমে ব্যবহারকারীর সন্তুষ্টি বোঝায় ঠিক যেমন আপনি অ্যাপ ডিজাইন করতে এবং [[গুগল প্লে|গুগল প্লে স্টোরে]] অফার করতে সক্ষম হন, আপনি স্টোরের সোর্স কোডও পরিবর্তন করতে পারেন। এই উন্মুক্ততার ফলে অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ ডাউনলোডের সংখ্যা আইওএস-এর চেয়ে বেশি হয়ে গেছে, যদিও এটি অ্যান্ড্রয়েড এবং অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ ডেভেলপারদের উপর একটি বড় নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে: রাজস্ব হ্রাস। গুগল প্লে অ্যাপলের [[App store (IOS)|অ্যাপ স্টোরের তুলনায় ৭০% কম আয় করে।]]
'''ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা'''
অ্যান্ড্রয়েডের সাথে সঠিক ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা নির্মাতাদের মূল সোর্স কোডের পরিবর্তনের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হয়, যদিও প্রযুক্তি সম্প্রদায়ে সাধারণীকরণ করা যেতে পারে এবং করা হয়েছে। অ্যান্ড্রয়েডের খ্যাতি আইওএসের মতো 'পরিষ্কার' না হওয়া এবং 'খাটো' হওয়ার জন্য উন্মুক্ত উৎসের উৎসের কারণে, এর নকশাটি তার প্রতিযোগীর মতো পরিশীলিত বলে বিবেচিত হয় না এবং 'কার্টুনিশ' হওয়ার জন্য আরও সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছে। অন্যান্য অপারেটিং সিস্টেমের সাথে অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতার তুলনা করে করা একটি জরিপে দেখা গেছে যে এটি IOS এর তুলনায় কম স্কোর করেছে (৫৭.২৫ থেকে ৭৩.২৫) ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো প্রাথমিকভাবে ব্যবহারের সহজতা, বিশেষ করে একজন অ-প্রযুক্তিগত ব্যবহারকারীর জন্য। আরেকটি জরিপে দেখা গেছে যে অ্যান্ড্রয়েডের জ্ঞানীয় লোড সবচেয়ে বেশি, সংশ্লিষ্ট IOS এর তুলনায় চার গুণ বেশি। ধারণা করা হচ্ছে,অ্যান্ড্রয়েড স্বাভাবিকভাবে ব্যবহার করতে আইওএসের তুলনায় বেশি সময় নেয়।
'''গোপনীয়তা'''
অ্যান্ড্রয়েড বিজ্ঞাপন লাইব্রেরিগুলোর উপর গবেষণায় দেখা গেছে যে বিজ্ঞাপনগুলো ব্যবহারকারীর অবস্থান, পরিচিতি, ফোন নম্বর সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহ করতে পারে এবং এমনকি ক্যামেরা এবং মাইক্রোফোনেও প্রাপ্যতা পেতে পারে এটি বিজ্ঞাপনগুলোকে সংগৃহীত তথ্যের উপর ভিত্তি করে তাদের ব্যবহারকারীকে আরও ভালভাবে লক্ষ্য করতে দেয়। যখন কোনও বিজ্ঞাপন আপনার নাম, ঠিকানা এবং সহযোগীদেরও শনাক্ত করতে সক্ষম হয়, তখন এটি আরও গুরুতর গোপনীয়তার সমস্যা হয়ে উঠতে পারে। এটি অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস প্ল্যাটফর্মের জন্য একটি সমস্যা। দেখা গেছে যে গ্রাহকরা প্রায়ই ডিফল্ট গোপনীয়তা বিকল্পগুলোতে সম্মতি জানান। এর ফলে গোপনীয়তা কর্মীরা 'অপ্ট ইন' বৈশিষ্ট্যের জন্য প্রচারণা চালাচ্ছেন, যেমনটি ইইউতে দেখা যায়। এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা একটি বিজ্ঞাপনের প্রাপ্যতা সম্পর্কে আরও স্বচ্ছ ধারণা দিচ্ছেন। যদিও অ্যাপের গোপনীয়তার স্পেসিফিকেশনের জন্য অ্যান্ড্রয়েড সমালোচিত হয়েছে, তবুও অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস উভয়কেই এই আইনগুলো মেনে চলতে হবে। এটি ব্যবহারকারীকে অ্যাপের গোপনীয়তা চুক্তি গ্রহণ বা প্রত্যাখ্যান করার সুযোগ দেয় কিন্তু পরবর্তী সময়ে এতে কোনও পরিবর্তন আনে না। বিপরীতে, IOS ব্যবহারকারীকে গোপনীয়তা চুক্তি গ্রহণের পরে একটি অ্যাপের নির্দিষ্ট প্রাপ্যতা নিষ্ক্রিয় করার সুযোগ দেয়, যেমন ক্যামেরা প্রাপ্যতা নিষ্ক্রিয় করা।
'''ওয়েব ব্রাউজার'''
অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীকে তাদের পছন্দের ডিফল্ট ওয়েব ব্রাউজার নির্ধারণ করতে দেয়। এটি গুগল প্লে স্টোর থেকে একটি তৃতীয় পক্ষের অ্যাপ অধিগ্রহণের মাধ্যমে করা হয় তবে অ্যান্ড্রয়েডের অ্যাপল-বিকশিত ব্রাউজার [[সাফারি (ওয়েব ব্রাউজার)|সাফারিতে]] প্রাপ্যতা নেই; আইওএসের তুলনায় ব্যবহারকারীদের তাদের পছন্দের ব্রাউজারটি সম্পূর্ণরূপে পরিবর্তন করার সুযোগ দেওয়ার জন্য অ্যান্ড্রয়েড প্রশংসিত হয়েছে, যেখানে সাফারি অন্তর্নির্মিত এবং আনইনস্টল করা যায় না।
'''প্রাপ্যতা এবং সামঞ্জস্য'''
IOS উপলব্ধ এবং শুধুমাত্র Apple পণ্যের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এই বৈশিষ্ট্যটি সমালোচিত হয়েছে কারণ এর অর্থ হলো অ্যাপ স্টোর এবং গুগল প্লে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়, তাই ব্যবহারকারীরা অ্যাপগুলোতে একই স্তরের প্রাপ্যতা পান না। যদিও অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম ওপেন সোর্স, গুগল প্লে নয়। শুধুমাত্র অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীরা এটি ব্যবহার করতে পারবেন। আইওএসের বাজার শেয়ার ১৩.৯। % <ref>http://www.idc.com/prodserv/smartphone-os-market-share.jsp</ref> মানে IOS ব্যবহারকারীরা সংখ্যালঘু।
'''কাস্টমাইজেবিলিটি'''
IOS সোর্স কোড কোনওভাবেই ব্যবহারকারীর জন্য কাস্টমাইজযোগ্য নয়। এটি অনেককে ক্ষুব্ধ করেছে এবং জেলব্রেকিংয়ের এখন সাধারণ এবং আইনত অস্পষ্ট প্রথার দিকে পরিচালিত করেছে। এই অনুশীলনের মধ্যে রয়েছে [[ডিজিটাল অধিকার ব্যবস্থাপনা|ডিজিটাল রাইটস ম্যানেজমেন্ট (DRM)]] বিধিনিষেধ উপেক্ষা করা এবং সফটওয়্যার পরিবর্তন করা। এটি মূলত "একটি পরিবর্তিত কার্নেল প্যাচ সেট (কার্নেল অপারেটিং সিস্টেমের তত্ত্বাবধায়ক) ইনস্টল করার প্রক্রিয়া যা আপনাকে স্বাক্ষরবিহীন কোড চালানোর সুযোগ দেয়" হিসাবে ভাবা যেতে পারে। অ্যাপল উন্নত আপডেটের মাধ্যমে জেলব্রেকিং সীমিত করার চেষ্টা করেছে। অ্যাপলের সাপোর্ট পেজে জেলব্রেকিংয়ের অসুবিধাগুলো ব্যাখ্যা করা হয়েছে;
* নিরাপত্তা দুর্বলতা: আপনার ডিভাইস জেলব্রেক করলে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য এবং আপনার iOS ডিভাইস সুরক্ষিত রাখার জন্য তৈরি নিরাপত্তা স্তরগুলো দূর হয়ে যায়। আপনার iOS ডিভাইস থেকে এই নিরাপত্তা ব্যবস্থা সরিয়ে ফেলা হলে, হ্যাকাররা আপনার ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করতে পারে, আপনার ডিভাইসের ক্ষতি করতে পারে, আপনার নেটওয়ার্ক আক্রমণ করতে পারে, অথবা ম্যালওয়্যার, স্পাইওয়্যার বা ভাইরাস প্রবেশ করাতে পারে।
* অস্থিরতা: ডিভাইসের ঘন ঘন এবং অপ্রত্যাশিত ক্র্যাশ, বিল্ট-ইন অ্যাপ এবং থার্ড-পার্টি অ্যাপের ক্র্যাশ এবং ফ্রিজ, এবং ডেটা হারানো।
* ব্যাটারির আয়ু কমে গেছে: হ্যাক করা সফটওয়্যারটির কারণে ব্যাটারি দ্রুত শেষ হয়ে গেছে। এটি একবার ব্যাটারি চার্জ করলেই আইফোন, আইপ্যাড বা আইপড টাচের কাজকর্ম কমিয়ে দেয়।
* অবিশ্বস্ত ভয়েস এবং ডেটা: কল বন্ধ, ধীর বা অবিশ্বস্ত ডেটা সংযোগ, এবং বিলম্বিত বা ভুল অবস্থান ডেটা।
* পরিষেবার ব্যাঘাত: ভিজ্যুয়াল ভয়েসমেইল, আবহাওয়া এবং স্টকের মতো পরিষেবাগুলো ডিভাইসে ব্যাহত হয়েছে অথবা আর কাজ করছে না। এছাড়াও, অ্যাপল পুশ নোটিফিকেশন সার্ভিস ব্যবহারকারী তৃতীয় পক্ষের অ্যাপগুলোর বিজ্ঞপ্তি পেতে অসুবিধা হয়েছে অথবা এমন বিজ্ঞপ্তি পেয়েছে যা অন্য কোনও হ্যাক করা ডিভাইসের জন্য তৈরি। [[আইক্লাউড|iCloud]] এবং Exchange-এর মতো অন্যান্য পুশ-ভিত্তিক পরিষেবাগুলো তাদের নিজ নিজ সার্ভারের সাথে ডেটা সিঙ্ক্রোনাইজ করতে সমস্যায় পড়েছে।
* ভবিষ্যতে সফটওয়্যার আপডেট প্রয়োগ করতে অক্ষমতা: কিছু অননুমোদিত পরিবর্তন iOS-এর এমন ক্ষতি করেছে যা মেরামতযোগ্য নয়। এর ফলে ভবিষ্যতে অ্যাপল-সরবরাহকৃত iOS আপডেট ইনস্টল করার সময় হ্যাক হওয়া আইফোন, আইপ্যাড, বা আইপড টাচ স্থায়ীভাবে অকার্যকর হয়ে যেতে পারে।
'''ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা'''
আইওএস-এর ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতার জন্য অ্যাপল মূলত প্রশংসিত হয়েছে। এটি 'নান্দনিক অখণ্ডতা' এবং 'ধারাবাহিকতা' নীতির উপর নির্ভর করে অ্যাপল উল্লেখ করেছে যে নান্দনিকতার সাথে এটি সৌন্দর্য সম্পর্কে খুব বেশি কিছু নয় বরং, "একটি অ্যাপের চেহারা এবং আচরণ কতটা ভালোভাবে তার কার্যকারিতার সাথে একটি সুসংগত বার্তা পাঠায় তা বোঝায়।" "আইওএস-এর অ্যাপ স্টোরে অ্যান্ড্রয়েডের গুগল প্লে-এর তুলনায় কঠোর নির্দেশিকা রয়েছে।" এটি ইতিবাচক নাকি নেতিবাচক বৈশিষ্ট্য তা নিয়ে মতবিরোধ রয়েছে। IOS-এর 'ধারাবাহিকতা' নীতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ, সমস্ত অ্যাপই মানুষের দ্বারা পর্যালোচনা করা হয়, সম্প্রতি অ্যান্ড্রয়েডও এই বৈশিষ্ট্যটি গ্রহণ করেছে। এটিকে আইওএসের কঠোর নির্দেশিকাগুলো ইতিবাচক বলে গ্রহণযোগ্যতা হিসেবে দেখা হচ্ছে।
'''ওয়েব ব্রাউজার'''
গুগল ক্রোম এবং ফায়ারফক্সের মতো একাধিক উন্মুক্ত উৎসের ওয়েব ব্রাউজার আইওএস সহ অ্যাপ স্টোর থেকে ডাউনলোডের জন্য উপলব্ধ। তবে Safari হলো বিল্ট-ইন ইন্টারনেট ব্রাউজার, এবং তাই, খোলা যেকোনো লিঙ্ক Safari তে পুনঃনির্দেশিত হবে ব্যবহারকারীদের দ্বারা Safari প্রশংসিত এবং সমালোচিত উভয়ই হয়েছে। অ্যাপল তার ব্রাউজারগুলো (সাফারি, ক্রোম, ফায়ারফক্স ইত্যাদি) ওয়েবকিট তে চালায় তাই গতি ধারাবাহিকভাবে বেশি থাকে। 'ট্র্যাক করবেন না' বৈশিষ্ট্যটি সমর্থন করার জন্য সাফারিও প্রশংসিত হয়েছে। স্মার্টফোনের গোপনীয়তা নিয়ে উদ্বিগ্ন ব্যক্তিদের জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি বিজ্ঞাপনদাতাদের অনলাইনে আপনার ট্র্যাক করা বন্ধ করে দেয়। তবে আইওএসের মালিকানাধীন প্রকৃতির কারণে, তারা অন্যান্য ওয়েব ব্রাউজারগুলোতে এই ফাংশনের প্রাপ্যতা সীমিত করেছে, তাদের সাফারি ব্যবহারে রাজি করার একটি ধারণাগত প্রচেষ্টা হিসেবে। তৃতীয় পক্ষের ব্রাউজারগুলোতে IOS-এর আরও অনেক বিধিনিষেধ রয়েছে। যেহেতু Safari iOS-এ অন্তর্নির্মিত, তাই সিস্টেম ক্র্যাশ বিশ্বব্যাপী একাধিক ডিভাইসের বেশিরভাগ IOS ব্যবহারকারীকে প্রভাবিত করবে। ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে এই ঘটনাটি ঘটেছিল যখন কোনও ব্যবহারকারী অ্যাড্রেস বারে কিছু অনুসন্ধান করলে একটি বাগ সাফারি ক্র্যাশ করে
==== অ্যান্ড্রয়েড প্ল্যাটফর্ম নিরাপত্তা ====
'''অ্যান্ড্রয়েড নিরাপত্তা প্রতিশ্রুতি'''
অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল প্ল্যাটফর্মের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ এবং ব্যবহারযোগ্য অপারেটিং সিস্টেম হতে চায়, ঐতিহ্যবাহী অপারেটিং সিস্টেমের নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রণগুলোকে পুনঃউদ্দেশ্য দিয়ে:
* ব্যবহারকারীর ডেটা সুরক্ষিত করুন
* সিস্টেম রিসোর্স (নেটওয়ার্ক সহ) সুরক্ষিত করুন
* অ্যাপ্লিকেশন আইসোলেশন প্রদান করুন
এই লক্ষ্যগুলো অর্জনের জন্য, অ্যান্ড্রয়েড এই গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্যগুলো প্রদান করে:
* লিনাক্স কার্নেলের মাধ্যমে অপারেটিং সিস্টেম স্তরে শক্তিশালী নিরাপত্তা
* সকল অ্যাপ্লিকেশনের জন্য বাধ্যতামূলক অ্যাপ্লিকেশন স্যান্ডবক্স
* নিরাপদ আন্তঃপ্রক্রিয়া যোগাযোগ
* আবেদনপত্র স্বাক্ষর
* অ্যাপ্লিকেশন-সংজ্ঞায়িত এবং ব্যবহারকারী-প্রদত্ত অনুমতি
'''অ্যান্ড্রয়েড নিরাপত্তা সমালোচনা'''
অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ্লিকেশনগুলো একটি স্যান্ডবক্সে চলে। এটি সিস্টেমের একটি বিচ্ছিন্ন এলাকা যেখানে সিস্টেমের বাকি সংস্থানগুলোতে প্রাপ্যতা থাকে না, যদি না অ্যাপ্লিকেশনটি ইনস্টল করার সময় ব্যবহারকারী দ্বারা স্পষ্টভাবে প্রাপ্যতাের অনুমতি দেওয়া হয়। যদিও, Felt & Chin (২০১২) এর পর্যবেক্ষণ অনুযাতী, "'স্যান্ডবক্সিং' এবং অনুমতি ব্যবস্থা অ্যাপ্লিকেশনগুলোতে দুর্বলতা এবং বাগের প্রভাব কমায়। কিন্তু ডেভেলপারদের বিভ্রান্তি এবং সীমিত ডকুমেন্টেশনের ফলে অ্যাপ্লিকেশনগুলো নিয়মিতভাবে অপ্রয়োজনীয় অনুমতির অনুরোধ করে। এর ফলে এর কার্যকারিতা হ্রাস পায়"। এর উপরে, এটিও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে যে অ্যান্ড্রয়েডের ফ্র্যাগমেন্টেশন নিরাপত্তার জন্যও একটি সমস্যা। কারণ মূল অপারেটিং সিস্টেমে পাওয়া বাগের প্যাচগুলো প্রায়ই পুরানো এবং কম দামের ডিভাইসের ব্যবহারকারীদের কাছে পৌঁছায় না (কিংসলে-হিউজেস, ২০১৫)। অধিকন্তু, কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় দুর্বলতার উপর গবেষণা চালিয়েছে, যেখানে তারা এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে যে "বিক্রেতাদের প্যাচ এবং আপডেট সহ পুরানো ডিভাইসগুলোকে সমর্থন করতে ব্যর্থতার ফলে সক্রিয় ডিভাইসগুলোর সাতাশি শতাংশেরও বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে" (থমাস, বেরেসফোর্ড এবং রাইস ২০১৪)।
'''নম্বর অনুসারে অ্যান্ড্রয়েড'''
২০১৩ সালের ৩ সেপ্টেম্বরের তথ্য অনুযায়ী গুগল প্লে অ্যাপ স্টোর এক বিলিয়নেরও বেশি অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস সক্রিয় করেছে। আনুমানিক হিসাব অনুসারে, ৪০০ টিরও বেশি অ্যাপ্লিকেশন কমপক্ষে এক কোটি বার এবং ৮০০ টিরও বেশি অ্যাপ্লিকেশন কমপক্ষে পাঁচ কোটি বার ইনস্টল করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এই অ্যাপগুলো হলো গুগল প্লে অ্যাপ যার ডাউনলোড সংখ্যা অনন্য ডিভাইসে এক বিলিয়নেরও বেশি। ২০১৫ সালের ২৫শে জুন তারিখের তথ্য অনুযায়ী এই শীর্ষ বিভাগে স্থান পাওয়ার জন্য ১২টি অ্যাপ্লিকেশন রয়েছে। এগুলোর প্রতিটিই গুগল অথবা ফেসবুকের মালিকানাধীন:
# জিমেইল
# গুগল ম্যাপস
# ইউটিউব
# ফেসবুক
# গুগল সার্চ
# গুগল+
# হোয়াটসঅ্যাপ
# গুগল টেক্সট-টু-স্পিচ
# গুগল বই
# বার্তাবহ
# গুগল হ্যাঙ্গআউট
# গুগল ক্রোম
'''আইওএস প্ল্যাটফর্ম নিরাপত্তা'''
প্রতিটি iOS ডিভাইস সর্বাধিক নিরাপত্তা এবং স্বচ্ছ ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতার জন্য একসাথে কাজ করার জন্য ডিজাইন করা সফটওয়্যার, হার্ডওয়্যার এবং পরিষেবাগুলোকে একত্রিত করে। iOS কেবল ডিভাইস এবং এর ডেটাই সুরক্ষিত রাখে না, বরং সমগ্র ইকোসিস্টেমকে সুরক্ষিত রাখে, যার মধ্যে রয়েছে স্থানীয়ভাবে, নেটওয়ার্কে এবং গুরুত্বপূর্ণ ইন্টারনেট পরিষেবাগুলোর মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা যা কিছু করেন তা। iOS-এর অনেক নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য ডিফল্টরূপে সক্রিয় থাকে, তাই আইটি বিভাগগুলোকে ব্যাপক কনফিগারেশন সম্পাদনের প্রয়োজন হয় না। এবং ডিভাইস এনক্রিপশনের মতো গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্যগুলো কনফিগারযোগ্য নয়, তাই ব্যবহারকারীরা ভুল করেও সেগুলো অক্ষম করতে পারবেন না। অন্যান্য বৈশিষ্ট্য, যেমন টাচ আইডি, ডিভাইসটিকে সুরক্ষিত করা সহজ এবং আরও স্বজ্ঞাত করে ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা উন্নত করে।
'''আইওএস নিরাপত্তা প্রতিশ্রুতি'''
অ্যাপল নিরাপত্তার বিষয়টিকে কেন্দ্র করে iOS প্ল্যাটফর্মটি ডিজাইন করেছে। যখন আমরা সর্বোত্তম সম্ভাব্য মোবাইল প্ল্যাটফর্ম তৈরির লক্ষ্যে যাত্রা শুরু করি, তখন আমরা কয়েক দশকের অভিজ্ঞতা থেকে সম্পূর্ণ নতুন একটি স্থাপত্য তৈরি করি। ফলস্বরূপ, মোবাইল ডিভাইসের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে iOS একটি বড় অগ্রগতি।
আইওএস সিকিউরিটি নিম্নলিখিত বৈশিষ্ট্যগুলো প্রদান করতে চায়:
* সিস্টেম নিরাপত্তা: সমন্বিত এবং সুরক্ষিত সফটওয়্যার এবং হার্ডওয়্যার যা প্ল্যাটফর্ম
আইফোন, আইপ্যাড এবং আইপড টাচের জন্য।
* এনক্রিপশন এবং ডেটা সুরক্ষা: স্থাপত্য এবং নকশা যা ব্যবহারকারীর ডেটা সুরক্ষিত রাখে যদি
ডিভাইসটি হারিয়ে গেলে বা চুরি হয়ে গেলে, অথবা যদি কোনও অননুমোদিত ব্যক্তি এটি ব্যবহার বা পরিবর্তন করার চেষ্টা করে।
* অ্যাপ নিরাপত্তা: এমন সিস্টেম যা অ্যাপগুলোকে নিরাপদে এবং আপস ছাড়াই চালাতে সক্ষম করে
* নেটওয়ার্ক নিরাপত্তা: ট্রান্সমিশনে ডেটার প্রমাণীকরণ এবং এনক্রিপশনের মাধ্যমে শিল্প-মানক নেটওয়ার্কিং প্রোটোকল যা নিরাপদ প্রদান করে ।
* অ্যাপল পে: অ্যাপলের নিরাপদ পেমেন্ট বাস্তবায়ন।
* ইন্টারনেট পরিষেবা: মেসেজিং, সিঙ্কিং এবং ব্যাকআপ।
* ডিভাইস কন্ট্রোল: এমন পদ্ধতি যা ডিভাইসের অননুমোদিত ব্যবহার প্রতিরোধ করে এবং সক্ষম করে। এর মাধ্যমে হারিয়ে গেলে বা চুরি হয়ে গেলে দূর থেকে মুছে ফেলা হবে।
* প্রাইভেসি কন্ট্রোল: iOS এর ক্ষমতা যা লোকেশন প্রাপ্যতা নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যবহার করা যেতে পারে
'''আইওএস নিরাপত্তা সমালোচনা'''
নিরাপত্তা হুমকি মোকাবেলায় অ্যাপলের উন্মুক্ততা নিয়ে বিশেষজ্ঞ এবং সাংবাদিক উভয়ই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। বিশেষ করে তারা আশঙ্কা করছে যে অ্যাপল তার নিরাপত্তা দুর্বলতা সম্পর্কে জনসাধারণকে অবহিত করার জন্য পদক্ষেপ না নিয়ে তার ক্লায়েন্টদের বিপদে ফেলবে। তবে অ্যাপল পণ্যের নিরাপত্তা দুর্বলতা সম্পর্কে জনগণের সচেতনতার অভাব জনসাধারণকে বিভ্রান্ত করার জন্য অ্যাপলের সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। এটি বছরের পর বছর ধরে বেড়েছে (ভিয়েগা, ২০০৯)। এই সমালোচনা অ্যাপলের সময়মতো নিরাপত্তা আপডেট সহ তার পণ্যগুলো আপডেট করতে ব্যর্থতার দিকেও দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। কিছু বিশেষজ্ঞের মতে, সামগ্রিকভাবে, অ্যাপল পণ্যগুলোতে হ্যাকারদের আক্রমণ বা ভাইরাস/ম্যালওয়্যার দ্বারা সংক্রামিত হওয়ার সম্ভাবনা কম, যদিও তারা জোর দিয়ে বলেন যে এটি মূলত অ্যাপল পণ্যগুলোতে আক্রমণে হ্যাকারদের আগ্রহের অভাবের কারণে, যদিও iCloud এবং অ্যাপল ডিভাইসগুলোকে ঘিরে সাম্প্রতিক নিরাপত্তা হুমকিগুলো অন্যথার ইঙ্গিত দেয়।
২০১৩ সালের জুন মাসে দ্য গার্ডিয়ান এবং দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট উভয়ের দ্বারা ফাঁস হওয়া জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার নথি উন্মোচিত হওয়ার পর অ্যাপলের উপর আরেকটি দ্বিধা তৈরি হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। নথিগুলোতে বলা হয়েছে যে অ্যাপল আমেরিকান কোম্পানিগুলোর তালিকায় রয়েছে যারা অভিযোগ করে যে PRISM-এর সাথে সহযোগিতা করে। এটি সরকারকে গোপনে আমেরিকান কোম্পানিগুলোর দ্বারা হোস্ট করা অ-আমেরিকান নাগরিকদের ডেটা প্রাপ্যতা করার সুযোগ দেয় কোনও ওয়ারেন্ট ছাড়াই। সরকারি কর্মকর্তারা এই প্রোগ্রামের অস্তিত্ব স্বীকার করেছেন। এটি থেকে বোঝা যায় যে "এনএসএ-র ওই কোম্পানিগুলোর সার্ভারগুলোতে সরাসরি প্রবেশাধিকার রয়েছে, এবং ফাঁসের আগের বছরগুলোতে প্রোগ্রামের মাধ্যমে সংগৃহীত তথ্যের পরিমাণ দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছিল" (স্যাভেজ, ২০১৩)। অ্যাপল এই প্রোগ্রাম সম্পর্কে কোনও জ্ঞান থাকার কথা অস্বীকার করেছে।
অ্যাপল এখনও iOS নিরাপদ বলে দাবি করে। তবে iOS নিরাপত্তা সংক্রান্ত সাম্প্রতিক কেলেঙ্কারির পর অনেক ব্যবহারকারী ভিন্ন মত পোষণ করবেন। ২০১৫ সালের ২০ সেপ্টেম্বরের দিকে চিহ্নিত সর্বশেষ নিরাপত্তা সংক্রান্ত দুর্নীতির ঘটনাগুলো হলো, চীনে অবস্থিত কিছু ডেভেলপার iOS অ্যাপ স্টোরের জন্য অ্যাপ তৈরি করতে ভুল প্রোগ্রাম ব্যবহার করেছেন।<ref>http://www.macworld.co.uk/feature/iosapps/is-ipad-iphone-ios-safe-xcodeghost-what-security-software-need-3453938/</ref> ধারণা করা হচ্ছে যে ডেভেলপাররা Xcode-এর একটি নকল সংস্করণ ডাউনলোড করেছেন। কারণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে হোস্ট করা অ্যাপলের নিজস্ব সার্ভার থেকে ডাউনলোড করতে অনেক সময় লাগছিল। Xcode-এর মোট আকার প্রায় ৩.৯ গিগাবাইট। চীনা ডেভেলপাররা অ্যাপলের নিজস্ব Xcode-এর পরিবর্তে XcodeGhost ব্যবহার করছিলেন। প্রভাবিত অ্যাপগুলো চীনা হলেও সেগুলোর মধ্যে অ্যাংরি বার্ডস ২-এর মতো কয়েকটি জনপ্রিয় অ্যাপ ছিল। যদিও রোভিও নিশ্চিত করেছে যে অ্যাংরি বার্ডস ২-এর শুধুমাত্র চীনা অ্যাপ স্টোর সংস্করণটি ঝুঁকিপূর্ণ।9to5Mac অনুসারে, শীঘ্রই এর সমাধান আসছে। কিন্তু সাম্প্রতিক নিরাপত্তার কৃতিত্বের পাশাপাশি, ২০১৪ সালটি এমন একটি বছর হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে যেখানে IOS-এর নিরাপত্তা দুর্বলতা সর্বকালের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে বেশ কয়েকটি নিরাপত্তা ত্রুটি চিহ্নিত করা হয়েছিল। এর ফলে যদি ব্যবহারকারী একটি অরক্ষিত হটস্পট ব্যবহার করেন, সম্ভবত একটি ইন্টারনেট ক্যাফেতে একজন আক্রমণকারীর পক্ষে ব্যবহারকারীর ডেটা আটকানো সম্ভব হয়েছিল ।
'''সংখ্যা অনুসারে আইওএস'''
অ্যান্ড্রয়েডের পরে iOS হলো বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বাধিক জনপ্রিয় মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আইপ্যাডের বিক্রি অ্যান্ড্রয়েডের চেয়েও পিছিয়ে। যদিও ওয়েব ব্যবহারের (সকল ব্যবহারের জন্য একটি প্রক্সি) দিক থেকে আইপ্যাড (আইওএস ব্যবহার করে) এখনও সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়। ২০১২ সালের মাঝামাঝি সময়ে ৪১ কোটি ডিভাইস সক্রিয় করা হয়েছিল। WWDC ২০১৪-তে, টিম কুক বলেছিলেন, ২০১৪ সালের জুন নাগাদ ৮০০ মিলিয়ন ডিভাইস বিক্রি হয়েছে। ২৭ জানুয়ারি, ২০১৫ তারিখে অ্যাপলের ত্রৈমাসিক আয়ের আহ্বানের সময়, অ্যাপল ঘোষণা করে যে ২০০৭ সাল থেকে তারা এখন এক বিলিয়ন iOS ডিভাইস বিক্রি করেছে (শুধুমাত্র ২০১৪ সালে বিক্রি হওয়া অ্যান্ড্রয়েডের তুলনায় একটু কম)। ১৬ জানুয়ারি, ২০০৯ তারিখে, অ্যাপল তার ওয়েবসাইটে ঘোষণা করে যে ৫০ কোটি অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড করা হয়েছে। বিলিয়নতম অ্যাপ্লিকেশনটি ২৩শে এপ্রিল, ২০০৯ তারিখে ডাউনলোড করা হয়েছিল। ৩ মার্চ, ২০১২ তারিখে, ডাউনলোড করা অ্যাপের সংখ্যা ২৫ বিলিয়নে পৌঁছেছে। ৮ জুন, ২০১৫ তারিখে, অ্যাপল ঘোষণা করে যে অ্যাপ স্টোর ১০০ বিলিয়ন ডাউনলোড অতিক্রম করেছে।
ডিসেম্বর ২০১৪-এর সবচেয়ে বেশি ডাউনলোড হওয়া আইফোন এবং আইপ্যাড অ্যাপগুলোর তালিকা এখানে দেওয়া হলো: (পেইড/ ফ্রি)
# ক্ল্যাশ অফ ক্ল্যানস / অ্যাংরি বার্ডস ২
# মাইনক্রাফট / স্ন্যাপচ্যাট
# আফটারলাইট / ইউটিউব
# প্লেগ ইনকর্পোরেটেড / ফেসবুক
# স্লিপ সাইকেল অ্যালার্ম ক্লক / ইনস্টাগ্রাম
# ফেসটিউন / প্যান্ডোরা রেডিও
# কাট দ্য রোপ ২ / গুগল ম্যাপস
# ব্লুনস টিডি ৫ / ফ্লিপগ্রাম
# একটি অন্ধকার ঘর / স্পটিফাই
# ৭ মিনিট ওয়ার্কআউট চ্যালেঞ্জ / ২০৪৮
=== ওয়েব ব্রাউজার ===
==== ভূমিকা ====
[[ওয়েব ব্রাউজার]] হলো এমন অ্যাপ্লিকেশন যা একসময় ব্যবহারকারীদের ইন্টারনেট প্রাপ্যতা এবং ব্যবহার করার সুযোগ দেওয়ার জন্য ব্যবহার করা হত। কিন্তু প্রযুক্তি যত উন্নত হচ্ছে, ততই আমরা ব্রাউজারটি খোলার জন্য আরও বেশি ব্যবহার খুঁজে পাচ্ছি। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, ব্যবহারকারী ইন্টারফেস এবং এক্সটেনশনের মতো সহজ বৈশিষ্ট্যগুলো গ্রাহকদের মধ্যে সিদ্ধান্ত প্রক্রিয়ার অংশ হয়ে উঠেছে যখন তারা কোন ওয়েব ব্রাউজার ব্যবহার করবেন তা সিদ্ধান্ত নেন।
প্রথম ওয়েব ব্রাউজারটি তৈরি করা হয়েছিল কেবল WorldWideWeb (পরবর্তীতে নামটি নেক্সাসে পরিবর্তিত হয়)। [[টিম বার্নার্স-লি|স্যার টিম বার্নার্স-লি]] ১৯৯০ সালে এটি তৈরি করেন। সময়ের সাথে সাথে এবং প্রযুক্তির উন্নতির সাথে সাথে, সহজেই প্রাপ্যতাযোগ্য ব্রাউজারের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়, যার কিছুক্ষণ পরেই ১৯৯২ সালে Erwise মুক্তি পায় এবং এটি গ্রাফিক্যাল ইউজার ইন্টারফেস সহ প্রথম সাধারণভাবে প্রাপ্যতাযোগ্য ব্রাউজার ছিল। তবে ১৯৯৩ সালে [[মোজাইক (ব্রাউজার)|মোজাইক]] মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই জনসাধারণের কাছে একটি সহজে অতিক্রমযোগ্য লেআউট উপস্থাপন করা হয়েছিল, যেখানে এটি ব্যবহারকারী সকলের জন্য আরও সুগম ব্যবহারকারী ইন্টারফেসের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করা হয়েছিল। মোজাইকে বাস্তবায়িত অনেক বৈশিষ্ট্য এখনও বর্তমান জনপ্রিয় ব্রাউজারগুলোতে বিদ্যমান, যেমন উপরে একটি URL বার এবং পিছনে/ফরোয়ার্ড বোতাম।
বর্তমানে, বাজারে পাঁচটি ব্রাউজার আধিপত্য বিস্তার করছে; [[ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার]], [[মোজিলা ফায়ারফক্স|ফায়ারফক্স]], [[গুগল ক্রোম|গুগল ক্রোম,]] [[সাফারি (ওয়েব ব্রাউজার)|সাফারি]] এবং [[অপেরা (ওয়েব ব্রাউজার)|অপেরা]] । এই পাঁচটি ব্রাউজারে বেশিরভাগই কিছুটা উন্মুক্ত উৎসের। সোর্স কোডের কিছু দিক সকলের জন্য প্রাপ্যতাযোগ্য। এর একমাত্র ব্যতিক্রম ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার। এটি ১৯৯৫ সালে প্রকাশের পর থেকে সম্পূর্ণ মালিকানাধীন।
==== ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের আধিপত্য এবং পতন ====
ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার প্রথম আত্মপ্রকাশ করে ১৯৯৫ সালে যা [[মাইক্রোসফট কর্পোরেশন|মাইক্রোসফট]] দ্বারা উইন্ডোজ ৯৫ অ্যাড-অন প্যাকেজের অংশ হিসেবে তৈরি করা হয়েছিল এবং লঞ্চের সময় এটি অত্যন্ত সফল হয়েছিল। ২০০০-এর দশকের গোড়ার দিকে, ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার বাজারের বেশিরভাগ অংশ দখল করে রেখেছিল, ২০০৩ সালে ৯৫%-এ পৌঁছেছিল। তবে অন্যান্য জনপ্রিয় ওয়েব ব্রাউজারগুলোর উত্থানের সাথে সাথে, বাজারে ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের আধিপত্য এখন প্রায় হাস্যকর বলে মনে হচ্ছে, ব্রাউজারটি অনেক ইন্টারনেট রসিকতার মূল বিষয়। যদিও এটি শীর্ষ পাঁচটি সর্বাধিক ব্যবহৃত ব্রাউজারের মধ্যে রয়ে গেছে, তবুও এর জনপ্রিয়তা এবং খ্যাতি এখনও ক্ষতিগ্রস্ত এবং ক্রমাগত হ্রাস পাচ্ছে এমন ব্যবহারের পরিসংখ্যান তা প্রতিফলিত করে। <ref>http://gs.statcounter.com/#all-browser-ww-monthly-200812-201602</ref>
ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের ইতিহাসে এমন অনেক বিষয় রয়েছে যা মানুষ এর জনপ্রিয়তা হ্রাসের কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছে, যার মধ্যে কিছু বিষয় এই সত্যকে প্রতিফলিত করে যে IE প্রকৃতিগতভাবে সম্পূর্ণ মালিকানাধীন। প্রথমত, ২০০১ সালে ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের ষষ্ঠ প্রধান সংস্করণ, IE6- এর মুক্তিকে এই মুহূর্তগুলোর মধ্যে একটি বলে মনে করা হয়। [[ম্যালওয়্যার]] এবং অন্যান্য নিরাপত্তা লঙ্ঘনের বৃহৎ সমস্যা দেখা দেওয়ার সাথে সাথে, বিশেষজ্ঞরা ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার ব্যবহারকারীদের অন্যান্য নির্ভরযোগ্য ব্রাউজারে স্যুইচ করার পরামর্শ দিতে শুরু করেছেন। <ref>https://www.schneier.com/blog/archives/2004/12/safe_personal_c.html</ref> ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের একটি সাধারণ অভিযোগ হলো এই ধরণের সমস্যা আবিষ্কার করা এবং সমস্যাটি সমাধানের জন্য একটি প্যাচ প্রকাশ করার মধ্যে সময় লাগে। এটি প্রায়ই এর মালিকানাধীন প্রকৃতির কারণে হয়। এই ধরনের সমস্যা সমাধানের জন্য একটি নিবেদিতপ্রাণ দল থাকার অর্থ হলো, যখন কোনও পরিচিত সমস্যা দেখা দেয় তখন সহায়তা পাওয়া সহজ হয়, তবে নিরাপত্তার বিষয়গুলোর সমাধান খুঁজে বের করার ক্ষেত্রে, উন্মুক্ত উৎসের উপাদানগুলো প্রায়ই সম্প্রদায়গুলোকে দ্রুত সমাধান খুঁজে বের করার জন্য বিনিয়োগ করে এবং তাই তারা একটি পৃথক দলের চেয়ে দ্রুত সমাধান তৈরি এবং প্রকাশ করতে পারে।
ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের পতনের কথা বলার সময় আরেকটি আকর্ষণীয় বিবেচ্য বিষয় হলো হার্ডওয়্যার IE এর সাথে সম্পর্কিত। ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার প্রায়ই মাইক্রোসফট পণ্যের সাথে প্যাকেজ করা হয়, বিশেষ করে উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম এবং এক্সবক্স ৩৬০। তবে যখন ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার প্রাধান্য পেয়েছিল, তখন এটি আরও অনেক ডিভাইসে প্রাপ্যতাযোগ্য ছিল, বিশেষ করে [[ম্যাকিন্টশ|ম্যাকিনটোশ কম্পিউটারে]] । ম্যাকিনটোশ ব্যবহারকারীদের মধ্যে জনপ্রিয় হওয়া সত্ত্বেও, মাইক্রোসফট ঘোষণা করে যে তারা ২০০৫ সালে ম্যাকিনটোশ কম্পিউটারে ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের ডেভেলপমেন্ট বন্ধ করার পরিকল্পনা করছে। যেহেতু IE একটি মালিকানাধীন ব্রাউজার, তাই এটি ডেভেলপমেন্টের দৃষ্টিকোণ থেকে অনেক অর্থবহ। এটি উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের ডেভেলপমেন্টের উপর আরও বেশি মনোযোগ দেওয়ার সুযোগ করে দেয়। তবে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্নতার ফলে বাজারের একটি বৃহৎ অংশ সম্পূর্ণরূপে প্রাপ্যতাযোগ্য হয়ে ওঠে না, এমন একটি সমস্যা যা সফটওয়্যারটি উন্মুক্ত উৎসের হলে বিদ্যমান থাকত না। এই কোড ব্যবহারের মাধ্যমে, ম্যাকিনটোশ ব্যবহারকারীরা নিজেরাই সফটওয়্যারটি আপডেট করতে পারবেন এবং তাদের পছন্দের কম্পিউটারে চালানোর জন্য ব্রাউজারগুলো আপডেট করার পদ্ধতিগুলো বের করতে পারবেন। এই বিশেষ উদাহরণে, মনে হচ্ছে একটি উন্মুক্ত উৎসের ব্রাউজার থাকা বৃহত্তর দর্শকদের কাছে পৌঁছানোর ক্ষেত্রে আরও উপকারী।
==== ফায়ারফক্সের আধিপত্য এবং পতন ====
২০০৪ সালের শেষের দিকে, [[মোজিলা|মজিলা]] ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে মজিলা ফায়ারফক্স প্রকাশ করে। এটি সম্পূর্ণরূপে উন্মুক্ত উৎসের ওয়েব ব্রাউজার। এটি এর গতি, নিরাপত্তা এবং ব্রাউজার এক্সটেনশনের মতো নতুন বৈশিষ্ট্যগুলোর জন্য ব্যাপক প্রশংসা লাভ করে, যাকে অ্যাড-অনও বলা হয়। অধিকন্তু, উন্মুক্ত উৎসের ইন নেচার হওয়ায় ফায়ারফক্স ব্যবহারকারীদের ইন্টারনেটের সাথে কীভাবে যোগাযোগ করা যায় সে সম্পর্কে আরও স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছিল। এটি মজিলা ম্যানিফেস্টোর দ্বিতীয় দাবি "ইন্টারনেট একটি বিশ্বব্যাপী পাবলিক রিসোর্স যা উন্মুক্ত এবং প্রাপ্যতাযোগ্য থাকা উচিত" দ্বারা সবচেয়ে ভালোভাবে অনুমান করা হয়েছে। <ref>https://www.mozilla.org/en-GB/about/manifesto/</ref>
একটি উন্মুক্ত উৎসের ব্রাউজার হিসেবে, ফায়ারফক্স তৃতীয় পক্ষের ডেভেলপমেন্ট থেকে উপকৃত হয়, বিশেষ করে অ্যাড-অনগুলোর মাধ্যমে যা ব্যবহারকারীদের ব্রাউজারটি কীভাবে কাজ করে তা নিয়ন্ত্রণ করতে দেয়। ফায়ারফক্সের কোড সকলের জন্য উপলব্ধ হওয়ার সাথে সাথে, গ্রাহকদের তাদের ব্রাউজিং অভিজ্ঞতায় ইচ্ছামত বৈশিষ্ট্য যোগ করার জন্য এক্সটেনশন তৈরি করার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল, যেমন অ্যাডব্লকের মতো এক্সটেনশন ব্যবহার করে অবাঞ্ছিত বিজ্ঞাপন অপসারণ করা। আরও সুন্দরভাবে, ফায়ারফক্স কাস্টম ব্যবহারকারী থিমগুলোকেও সমর্থন করেছিল। এটি ব্যবহারকারীদের ব্রাউজারের চেহারা এবং রঙের স্কিম পরিবর্তন করার সুযোগ দেয়। এটি আরও উপযুক্ত ব্রাউজিং অভিজ্ঞতা তৈরি করে। নিরাপত্তা সমস্যার সমাধান দ্রুত খুঁজে পাওয়া যায় এবং উন্মুক্ত উৎসের প্রোগ্রামগুলো আরও সুরক্ষিত হওয়ার সাথে সাথে, ফায়ারফক্স তাৎক্ষণিকভাবে জনপ্রিয়তা অর্জন করে, বিশেষ করে তার প্রধান প্রতিযোগী ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার ৬-এর তুলনায়।
তবে ফায়ারফক্সের পরিষেবা হিসেবে একটি প্রধান সমস্যা হলো আপডেট এবং এর মধ্যে থাকা বিষয়বস্তুর ক্ষেত্রে এর নির্ভরযোগ্যতা। ফায়ারফক্সের অনেক আপডেটই ছোটখাটো প্রকৃতির এবং সম্প্রদায়-ভিত্তিক হওয়ায়, গ্রাহকদের আগ্রহের জন্য খুব কমই নতুন, বৃহৎ পরিসরের বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এর ফলে ফায়ারফক্স ব্যবহারকারীদের একটি নিবেদিতপ্রাণ সম্প্রদায় তৈরি হয়। কিন্তু নতুন ব্যবহারকারীর সংখ্যা কম হয়। যদিও ফায়ারফক্সের স্থিতিশীলতা ধারাবাহিকভাবে ভালো রয়ে গেছে, ছোটখাটো সম্প্রদায়-চালিত বাগ সংশোধনের বাইরে প্রভাবশালী উন্নতির অভাবের ফলে এর ব্যবহারের পরিসংখ্যান কিছুটা স্থবির হয়ে পড়েছে। <ref>http://www.digitaltrends.com/computing/internet-explorer-chrome-and-firefox-market-share-for-october/</ref>
==== গুগল ক্রোমের উত্থান ====
২০০৮ সালে গুগল তাদের নিজস্ব ওয়েব ব্রাউজার, গুগল ক্রোম দিয়ে ব্রাউজার যুদ্ধে প্রবেশ করে। মুক্তি পাওয়ার পর থেকে, ক্রোমের জনপ্রিয়তা কেবল বৃদ্ধি পেয়েছে, বর্তমানে এটি বাজারে আধিপত্য বিস্তার করেছে এবং ফেব্রুয়ারি ২০১৬ পর্যন্ত মোট ব্যবহারের ৪৭.৭৭% ব্যবহার রয়েছে। গুগল ক্রোম একটি ফ্রিওয়্যার, যার অর্থ এর কিছু উপাদান রয়েছে যা প্রকৃতিগতভাবে মালিকানাধীন, তবে এর বেশিরভাগ কোডই ওপেন সোর্স। এর জনপ্রিয়তার পেছনে অনেক বৈশিষ্ট্য রয়েছে, এর সহজলভ্য, ন্যূনতম ইন্টারফেস এবং গতি মাত্র কয়েকটি।
উন্মুক্ত উৎসের হওয়ায় ফায়ারফক্সের মতোই ক্রোম উপকৃত হয়েছে, ঘন ঘন আপডেট, থিম এবং ব্রাউজার এক্সটেনশনের মতো বৈশিষ্ট্যগুলো ক্রোম ব্যবহারকারীদের জন্য উপলব্ধ। যদিও ফায়ারফক্সের উন্মুক্ত উৎসের প্রকৃতি এটিকে প্রাথমিকভাবে জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি করেছিল, একই রকম বৈশিষ্ট্য এবং সুপরিচিত আইটি কোম্পানি গুগলের সাথে সংযোগ ক্রোমকে তার আধিপত্য প্রতিষ্ঠার জন্য প্রয়োজনীয় রিলিজের সময় তা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করেছিল। [[ক্রোমিয়াম (ওয়েব ব্রাউজার)|ক্রোমিয়াম]] ক্রোমের সোর্স কোডে সহজে প্রাপ্যতাের সুযোগ করে দেওয়ার ফলে, ইচ্ছুকদের আউটসোর্সিং করে ক্রোমের জন্য লিনাক্স এবং ম্যাক ওএস এক্স পোর্টের কিছু ডেভেলপমেন্ট কাজ সহজ করা হয়েছে। <ref>http://arstechnica.com/information-technology/2008/09/google-unveils-chrome-source-code-and-linux-port/</ref> এর ফলে গুগলকে ইউজার ইন্টারফেস উন্নত করার এবং ব্রাউজারের আরও ভালো বিজ্ঞাপন দেওয়ার মতো বৈশিষ্ট্যগুলোতে মনোনিবেশ করার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছিল, এই সুযোগটি কাজে লাগিয়ে যে সার্চ ইঞ্জিন গুগল তাদের ব্রাউজার প্রচারের জন্য একটি সাধারণভাবে ব্যবহৃত পরিষেবা ছিল। তাদের কোডের ওপেন সোর্সিংয়ের মাধ্যমে ঘন ঘন আপডেটের সুযোগ দেওয়া হয় এবং নির্ভরযোগ্য এবং দ্রুত পরিষেবা পাওয়া যায়, তাই গুগল ক্রোম কেন জনপ্রিয়তার দিক থেকে এগিয়ে চলেছে তা স্পষ্ট।
'''http://www.telegraph.co.uk/technology/news/9163335/Whats-behind-the-rise-of-Google-Chrome.html'''
== উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যার কী? ==
উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যার (OSS) হলো গ্নু এবং Linux এর মতো প্রোগ্রাম যা প্রোগ্রামারদের নির্দিষ্ট সফটওয়্যার সম্পাদনা এবং উন্নত করার জন্য সোর্স কোড পরিবর্তন করতে দেয়। মুইর তার উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যার বইয়ে OSS কে "প্রকৃত সোর্স কোডে প্রাপ্যতা" হিসেবে সংজ্ঞায়িত করেছেন। এটি প্রায়ই গ্নু পাবলিক লাইসেন্সের অধীনে পাওয়া যায়। এটি প্রোগ্রামারদের সফটওয়্যার পরিবর্তন করতে এবং এটি পুনরায় বিতরণ করতে দেয়, এই প্রয়োজনে যে তারা এই পরিবর্তনগুলো অন্যান্য ডেভেলপারদের কাছে উপলব্ধ করে।" <ref>Muir, Scott P, and Leggott, Mark, eds. Open Source Software. Bradford, GBR: Emerald Group Publishing Ltd, 2005. ProQuest ebrary. Web. 5 March 2016</ref> এটিকে বিনামূল্যের সফটওয়্যার হিসাবেও পরিচিত করা যেতে পারে তবে আমি এই বাক্যাংশটি থেকে দূরে থাকব কারণ এটি 'মুক্ত বাকস্বাধীনতা'র পরিবর্তে 'মুক্ত জিনিস' ধারণার মতো বিনামূল্যের কথা উল্লেখ করে।
=== ওএসএসের ইতিহাস ===
ধারণা করা হয় যে UNIVAC ('ইউনিভার্সাল অটোমেটিক কম্পিউটার'-এর সংক্ষিপ্ত রূপ) প্রথম উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যার, 'A-2 সিস্টেম' তৈরি করেছিল। এটি ১৯৫৩ সালে তৈরি করা হয়েছিল এবং সেই বছরের শেষ নাগাদ বিতরণ করা হয়েছিল। পণ্যটিতে সোর্স কোডও অন্তর্ভুক্ত ছিল যা ব্যবহারকারীদের প্রদান করা হয়েছিল যাতে তারা (যদি তারা ইচ্ছা করে) পণ্যের উন্নত সংস্করণগুলো UNIVAC-তে ফেরত পাঠাতে পারে <ref>Peter Cohan. (2009). Back to the 1970s: IBM in mainframe antitrust suit again. Retrieved march/3rd, 2016, from http://www.dailyfinance.com/2009/10/09/back-to-the-1970s-ibm-in-mainframe-antitrust-suit-again/</ref> ১৯৬০-এর দশকের আগের যুগে এটা বলা নিরাপদ ছিল যে বেশিরভাগ প্রোগ্রাম বিনামূল্যে ছিল। তবে এগুলো বিনামূল্যে ছিল না কারণ সফটওয়্যার ডেভেলপাররা গ্রাহকদের বাগ ঠিক করতে এবং পণ্যের উন্নতি ফেরত পাঠাতে সাহায্য করার ধারণাটি পছন্দ করেছিলেন যাতে পণ্যটি আরও ভালোভাবে তৈরি করা যায় (যদিও ইউনিভ্যাকের A-2 সিস্টেমটি এর দ্বারা চালিত হয়েছিল) কিন্তু কারণ সেই সময়ে প্রযুক্তি ছিল ভীতিকর এবং খুবই ভয়ঙ্কর। এর আংশিক কারণ ছিল সেই সময়ে সায়েন্স ফিকশন সিনেমার প্রযোজনাগুলোকে ভৌতিক হিসেবে দেখা হত। মানুষের মনে একটা বিরাট ভয় ছিল,যদি কোম্পানিগুলো তাদের কাজের ব্যাপারে স্বচ্ছ না হয়, তাহলে মানুষ পেছনের দরজা দিয়ে বেরিয়ে যাবে, ফলে হ্যাক করা সহজ হবে।
সময়ের সাথে সাথে প্রযুক্তি অনেক উন্নত হতে শুরু করে, এর ফলে প্রতিযোগীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পায় এবং দামও বৃদ্ধি পায়। তবে প্রতিযোগীদের সংখ্যা বৃদ্ধির অর্থ হলো নোংরা কৌশলের প্রবর্তন। এই বাজারটি একসময় একটি অলিগোপলি ছিল এবং আইবিএমের মতো কোম্পানিগুলো এটিকে এভাবেই রাখতে চাইত। ১৯৬৯ সালে কম্পিউটার বাজারের এই বৃহৎ খেলোয়াড়টির বিরুদ্ধে প্রতিযোগিতামূলক মূল্য নির্ধারণের জন্য একটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। <ref>Hopper, Grace. "Keynote Address". Proceedings of the ACM SIGPLAN History of Programming Languages (HOPL) conference</ref>
=== ওএসএস-এর সমালোচনা ===
সময়ের সাথে সাথে OSS মালিকানাধীন সফটওয়্যারের চেয়ে বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এর মূল কারণ হলো এটি বিনামূল্যে, যেখানে মালিকানাধীন সফটওয়্যারের জন্য মানুষকে অর্থ প্রদান করতে হয়। তবে এটি একটি অলাভজনক সম্প্রদায় দ্বারা তৈরি হওয়ায় এর বেশ কিছু অসুবিধা রয়েছে। মালিকানাধীন সফটওয়্যারের তুলনায় OSS ব্যবহারের অনেক সুবিধা রয়েছে। ব্যবসার জন্য প্রধান সুবিধা হলো উন্মুক্ত উৎসের হলো বাজারে প্রবেশের ক্ষেত্রে ব্যবসার জন্য আরও বেশি সাফল্য অর্জনের একটি ভালো উপায়। যখন কোনও কোম্পানি OSS ব্যবহারের পরিকল্পনা করে, তখন তারা এমন পণ্য প্রতিষ্ঠা করতে পারে যা নির্ভরযোগ্য, উচ্চমানের এবং শিল্পের মানদণ্ডের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ, যার অর্থ তারা প্রতিদ্বন্দ্বী কোম্পানিগুলোর উপর এগিয়ে থাকতে পারে। এটিকে আরও নির্ভরযোগ্য বলে মনে করা হয় কারণ এতে অনেক স্বাধীন প্রোগ্রামার (যেমন লিনাক্স) সহযোগিতা করতে পারে এবং সাধারণ প্রকাশের আগে এর বাগ এবং সমস্যাগুলো খুঁজে বের করতে পারে। রেনল্ডস, <ref>Carl; Jeremy Wyatt (February 2011). "Open Source, Open Standards, and Health Care Information Systems". JMIR 13. doi:10.2196/jmir.1521</ref> OSS এর আরেকটি সুবিধা এবং অনেক নতুন প্রযুক্তি সংস্থা এটি ব্যবহারের অন্যতম কারণ হলো এটি সস্তা এবং ব্যবহার করা সহজ। মালিকানাধীন সফটওয়্যারের বিপরীতে যেখানে ব্যয়বহুল গবেষণা এবং উন্নয়ন করতে হয়।
OSS ব্যবহারের ফলে একটি কোম্পানি তাদের ব্যবহৃত প্রযুক্তির সাথে আরও নমনীয় হতে পারে। এর ফলে একটি ব্যবসা বাজারে দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানাতে পারে এবং দ্রুত উদ্ভাবন অর্জন করতে পারে। এটি একটি ক্রমাগত অগ্রগতিশীল প্রযুক্তিগত বিশ্বে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। OSS কৌশল ব্যবহারের মাধ্যমে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান অ্যাপল এবং মাইক্রোসফটের মতো বৃহৎ কোম্পানির বিরুদ্ধে সুযোগ পায় কারণ এটি সস্তা। <ref>Sharma, Srinarayan; Vijayan Sugumaran; Balaji Rajagopalan (2002). "A framework for creating hybrid-open source software communities"</ref> OSS-এর আরেকটি সুবিধা হলো, সফটওয়্যারের ডেভেলপাররা তাদের নিজস্ব সফটওয়্যারের মতো ক্ষমতায়িত বোধ করবে, যার অর্থ তারা আরও ভালোভাবে তৈরি পণ্য তৈরি করবে কারণ একজন কর্মী তাদের নিজস্ব তৈরিতে কাজ করার জন্য আরও বেশি অনুপ্রাণিত বোধ করবে। এই মালিকানার বোধের কারণে পণ্য এবং কোম্পানির প্রতি আনুগত্য তৈরি হয়। OSS ব্যবহারকারীদের যদি দক্ষ এবং কম্পিউটারে দক্ষ হন, তাহলে বিরক্তিকর বাগ ঠিক করার জন্য পরবর্তী প্যাচের জন্য অপেক্ষা করতে হবে না।
সামগ্রিকভাবে, OSS ব্যবহার আপনার ব্র্যান্ড এবং এর অর্থ কী তা সংজ্ঞায়িত করতে সাহায্য করে। OSS কে ব্র্যান্ডগুলোর জন্য একটি ইতিবাচক ভাবমূর্তি হিসেবে দেখা হয় কারণ এটি ভেন্ডর লক-ইন (যা মালিকানাধীন লক-ইন নামেও পরিচিত) বা প্যাচের জন্য চার্জিংয়ের ধারণার বিরুদ্ধে দাঁড়ায়। যেসব কোম্পানি OSS ব্যবহার করে তারা সাধারণত ব্যবসায়িক পরিভাষা 'কাইজেন' (ক্রমাগত উন্নতি) তে বিশ্বাস করে, যার অর্থ তারা সর্বদা তাদের মূল্যবান গ্রাহকের কাছে আরও ভালো পণ্য সরবরাহ করতে চায়। এটি এই ধারণার প্রতিনিধিত্ব করে যে প্রযুক্তি মুক্ত হওয়া উচিত। আমাদের সবসময় প্রিমিয়াম মূল্য পরিশোধ করতে হবে না।
বেশিরভাগ জিনিসের মতো অনেক দুর্দান্ত সুবিধার সাথে সাথে কিছু অসুবিধাও থাকতে হবে এবং OSSও এর থেকে আলাদা নয়। গ্রাহকদের চাহিদা শোনার জন্য ডেভেলপারদের উপর বাণিজ্যিক চাপের অভাব রয়েছে। এর অর্থ হলো তারা এমন সফটওয়্যার তৈরি করবে যা গ্রাহকদের চেয়ে তাদের চাহিদা অনুসারে তৈরি করা হবে। পণ্যের গুণমান এতে কাজ করা প্রোগ্রামারদের ধরণের দ্বারাও প্রভাবিত হতে পারে। কারণ OSS-এর সাফল্য অনেকটাই দলীয় কাজের উপর নির্ভর করে। সফটওয়্যারটিতে কাজ করা কিছু প্রোগ্রামারের বিভিন্ন লক্ষ্য থাকতে পারে, সফটওয়্যার সম্পর্কে ধারণা থাকতে পারে যা একে অপরের সাথে সাংঘর্ষিক হতে পারে। ইজেল এবং সোর্সএক্সচেঞ্জের মতো বেশ কয়েকটি ওএসএস প্রকল্পে এটি ঘটেছে। <ref>Sharma, Srinarayan; Vijayan Sugumaran; Balaji Rajagopalan (2002). "A framework for creating hybrid-open source software communities"</ref> বড় কোম্পানিগুলো উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যার ব্যবহার না করার একটি প্রধান কারণ হলো নিরাপত্তা ঝুঁকি। সোর্স কোড দেখানো হলে নিরাপত্তার দুর্বলতা দেখা যাবে যা ত্রুটি খুঁজে বের করা সহজ করে তুলতে পারে। বৃহৎ পরিসরে OSS প্রকল্পের ক্ষেত্রে এটি তেমন একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়, তবে একক ব্যক্তির প্রকল্পের ক্ষেত্রে বড় ধরনের নিরাপত্তা ঝুঁকি থাকতে পারে।
উন্মুক্ত উৎসের ব্যবহারের ফলে একই ধরণের জিনিসের ক্লোন তৈরি হয়। এর একটি ভালো উদাহরণ হলো মোবাইল গেম ফ্ল্যাপি বার্ড। যখন এটি সফল হয়, তখন আমরা অ্যান্ড্রয়েডে অনেক অনুরূপ কপি দেখতে পাই। যেখানে ক্লোজড সোর্স সফটওয়্যারের তাদের সফটওয়্যারে কী লাগানো হবে তার উপর বেশি নিয়ন্ত্রণ থাকে <ref>Joab Jackson. Open source vs. proprietary software. Retrieved March/4th, 2016, from http://www.pcworld.com/article/243136/open_source_vs_proprietary_software.html</ref> এর ফলে অনেক OSS প্রকল্প ক্লোন করা হয়। এর ফলে গ্রাহক নিম্নমানের সফটওয়্যারের চাপে পড়ে যান এবং ভালো সফটওয়্যার থেকে বঞ্চিত হন।
ডেভেলপাররা এতে যোগ এবং পরিবর্তন করার সাথে সাথে OSS বাস্তব সময়ে বিকশিত হতে থাকে, যার অর্থ এটি আরও উন্নত মানের হতে পারে। OSS এর সাথে সম্পর্কিত একটি সাধারণ ভুল ধারণা হলো যে এটি মালিকানাধীন সিস্টেমের তুলনায় বেশি নিরাপদ এবং ভাইরাসের ঝুঁকি কম কারণ এর বিপুল সংখ্যক ব্যবহারকারী রয়েছে যারা যেকোনো সমস্যা সমাধানের জন্য সেখানে উপস্থিত থাকে। যদিও এটি সত্য হতে পারে, তবে এটি অগত্যা এটিকে সহজাতভাবে নিরাপদ করে তোলে না। লোকেরা কোডটি দেখে। এর ফলে নিরাপত্তার দুর্বলতাগুলো সহজেই ধরা পড়ে। OSS নিরাপত্তার উপর একটি তদন্তে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে যে OSS কোডকে দৃশ্যমান করে তোলে, তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই, উৎস দৃশ্যমানতা একটি নির্দিষ্ট প্রকল্পের জন্য সৃষ্ট সামগ্রিক নিরাপত্তা ঝুঁকি বাড়াতে খুব কমই সাহায্য করে। নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা জানিয়েছেন,বেশিরভাগ পরিস্থিতিতে, উৎসের দৃশ্যমানতা প্রকল্পের স্থিতিশীলতা এবং নিরাপদ অবস্থার সম্মতিতেও সহায়তা করতে পারে।
<u>সফটওয়্যার</u> সবকিছুই একটি একক অপারেটিং সিস্টেম ইউনিক্স থেকে আসে, মূলত এটি IOS10 সহ ম্যাকের IOS সিস্টেমের ভিত্তি স্থাপন করে। এটি মূলত কোড লেখার পরিবর্তে একটি আগে থেকে তৈরি অপারেটিং সিস্টেম। যদিও এটি প্রায় প্রতিটি অপারেটিং সিস্টেমের ভিত্তি তৈরি করে, এটি খুবই 'বন্ধ'। কিন্তু এটি এই তত্ত্বের পরিপন্থী যে সবাই চায় সবকিছু উন্মুক্ত থাকুক এবং ভাগ করে নেওয়া হোক যাতে আপনি আপনার চাহিদা অনুযায়ী সফটওয়্যারটি সম্পাদনা এবং তৈরি করতে পারেন।
সহজ কথা হলো, সকলেই তাদের চাহিদা অনুযায়ী সফটওয়্যার সম্পাদনা এবং পরিচালনা করতে চায় না। এটা তাদের জন্য খুব জটিল হতে পারে অথবা তারা হয়তো আগ্রহী নাও হতে পারে। কিছু ব্যক্তি কেবল একটি সাধারণ কাজের জন্য কম্পিউটার ব্যবহার করতে চান এবং লগ ইন এবং CLU ব্যবহারের ঝামেলা মোকাবেলা করতে চান না। এই ক্ষেত্রে একটি GUI, গ্রাফিক্যাল ইউজার ইন্টারফেসই যথেষ্ট। এটি দ্রুত, সহজ এবং ব্যবহার করা সহজ। ব্যবহারকারী কী চায় তা আপনাকে বিবেচনা করতে হবে। তারা কি অফুরন্ত কোডিং চায় নাকি মেকানিক্স চায়, তবে কি এটা উন্মুক্ত নাকি বাণিজ্যিকীকরণ করা হবে?
== মালিকানাধীন সফটওয়্যার ==
=== ভূমিকা ===
মালিকানাধীন সফটওয়্যার হলো এমন সফটওয়্যার যা আইনত সম্পূর্ণরূপে এর স্রষ্টা বা স্রষ্টাদের মালিকানাধীন। সাধারণত, মালিকানাধীন সফটওয়্যারের সোর্স কোড দেখার ক্ষমতা এবং এর পরিবর্তনের উপর খুব কঠোর বিধিনিষেধ থাকে। এই সীমাবদ্ধতার কারণে, ব্যবহারকারীর প্রয়োজন অনুসারে প্রোগ্রামটি পরিবর্তন বা সংশোধন করার ক্ষমতা সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ। এই ধরণের সফটওয়্যার (যদিও কখনও কখনও বিনামূল্যে) সাধারণত শুধুমাত্র একটি ফি দিয়ে পাওয়া যায় এবং শুধুমাত্র লাইসেন্সপ্রাপ্ত কী হোল্ডাররা এর উদ্দেশ্যে সফটওয়্যারটি ব্যবহার করতে পারেন।
মালিকানাধীন সফটওয়্যার লাইসেন্স এবং লাইসেন্স চুক্তির মাধ্যমে ব্যবহৃত হয়। ডগলাস ই ফিলিপস তার "সফটওয়্যার লাইসেন্স উন্মোচিত" বইতে রূপরেখা দিয়েছেন : লাইসেন্স আইন কীভাবে সফটওয়্যার প্রাপ্যতা নিয়ন্ত্রণ করে", <ref>Phillips, DE 2009, Software License Unveiled : How Legislation by License Controls Software Access, Oxford University Press, USA, Cary, NC, USA. Available from: ProQuest ebrary. [6 March 2016].</ref> সমস্ত ব্যবহারকারী লাইসেন্স চুক্তি অনুসরণ করে এমন নির্দিষ্ট নির্দেশিকা।
এর মধ্যে রয়েছে:- "আপনি হয়তো ভেবেছেন যে আপনি কিছু কিনেছেন। কিন্তু আপনি তা করেননি। সফটওয়্যারটি লাইসেন্সপ্রাপ্ত, বিক্রি করা হয়নি।"
"আপনি এখন একটি সফটওয়্যার কোম্পানির সাথে একটি চুক্তির পক্ষ। লাইসেন্সটি আপনার এবং সফটওয়্যার প্রদানকারীর মধ্যে একটি আইনত বাধ্যতামূলক চুক্তি।"
"যদি এটি না বলে যে আপনি এটি করতে পারবেন, তাহলে আপনি পারবেন না। সফটওয়্যার প্রদানকারী আপনাকে সফটওয়্যারটি ব্যবহারের সুযোগ দেয়। কিন্তু আপনি এমন কিছু করতে পারবেন না যা লাইসেন্স স্পষ্টভাবে সুযোগ দেয় না। অবশ্যই, আপনাকে এমন কিছু করা থেকেও বিরত থাকতে হবে যা এটি স্পষ্টভাবে নিষিদ্ধ করে। উদাহরণস্বরূপ, আপনি একবারে একাধিক ব্যক্তিকে সফটওয়্যারটি ব্যবহার করতে দিতে পারবেন না; এটি পুনরায় বিক্রয় বা বিপরীত প্রকৌশলী করতে পারবেন; অথবা, যদি সফটওয়্যারটি একটি নির্দিষ্ট ধরণের শেষ ব্যবহারকারীর জন্য মনোনীত করা হয়, তাহলে সেই ধরণের শেষ ব্যবহারকারী না হয়ে এটি ব্যবহার করুন।"
"যদি আপনি এমন কিছু করেন যা এটি বলে না যে আপনি করতে পারবেন (অথবা বলে যে আপনি করতে পারবেন না), তাহলে আপনি সফটওয়্যারটি একেবারেই ব্যবহার করতে পারবেন না। সফটওয়্যারটি ব্যবহারের জন্য আপনার অনুমতি লাইসেন্স চুক্তির সমস্ত শর্তাবলী মেনে চলার উপর নির্ভরশীল, যার মধ্যে আপনার ব্যবহারকে সীমাবদ্ধ করে এমন সমস্ত শর্তাবলীও অন্তর্ভুক্ত। ফলস্বরূপ, যেকোনো শর্ত লঙ্ঘনের ফলে আপনার সমস্ত লাইসেন্স অধিকার নষ্ট হতে পারে এবং আপনি কেবল চুক্তি ভঙ্গকারীই নন, বরং কপিরাইট লঙ্ঘনকারীও হয়ে ওঠেন।"
"যদি সফটওয়্যার কোম্পানি কিছু করতে চায়, তাহলে তা করতে পারে। আপনি সফটওয়্যার প্রদানকারীকে সফটওয়্যারে পণ্য সক্রিয়করণ, পণ্য যাচাইকরণ এবং স্বয়ংক্রিয় আপডেট ফাংশন অন্তর্ভুক্ত করার জন্য নিঃশর্ত অনুমতি দেন। এই ফাংশনগুলো সফটওয়্যারে আপনার প্রাপ্যতাকে প্রভাবিত করতে পারে, এবং সম্ভাব্যভাবে আপনার কম্পিউটারে, এবং সফটওয়্যার এবং আপনার কম্পিউটার সম্পর্কে তথ্য সফটওয়্যার প্রদানকারীর কাছে প্রেরণ করতে পারে।"
"যদি সফটওয়্যারে কিছু ভুল হয়ে যায়, তাহলে তা ঠিক করার জন্য সফটওয়্যার কোম্পানির উপর নির্ভর করবেন না। আপনি সম্মত হন যে সফটওয়্যার সরবরাহকারী আপনাকে খুব কম বা কোনও ওয়ারেন্টি দেয় না এবং সফটওয়্যার ত্রুটির জন্য আপনার কাছে খুব কম বা কোনও দায়বদ্ধতা থাকবে না। আপনি আরও সম্মত হন যে সফটওয়্যার তৃতীয় পক্ষের অধিকার লঙ্ঘন করলে আপনার বিরুদ্ধে যে দাবি হতে পারে তার জন্য সফটওয়্যার সরবরাহকারী দায়ী থাকবে না।" (ফিলিপস, ২০০৯)
মুক্ত সফটওয়্যার আন্দোলন ১৯৮৩ সালে শুরু হয়েছিল। এর প্রবর্তনের পর একদল ব্যক্তি "মুক্ত সফটওয়্যার" শব্দটিকে উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যার (OSS) দ্বারা প্রতিস্থাপন করার পক্ষে মত প্রকাশ করেন। এটি কর্পোরেট জগতের ক্ষেত্রে আরও সুবিধাজনক। সফটওয়্যার ডেভেলপাররা তাদের সফটওয়্যারটি একটি উন্মুক্ত উৎসের লাইসেন্স কাঠামোর মধ্যে প্রকাশ করতে চাইতে পারেন যাতে যে কেউ একই সফটওয়্যারটি তৈরি করতে পারে অথবা এর অভ্যন্তরীণ কার্যকারিতা সম্পর্কে আরও ভালভাবে বুঝতে পারে। উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যারের সাহায্যে, যে কেউ এতে পরিবর্তন আনতে, নতুন অপারেটিং সিস্টেম এবং প্রসেসর আর্কিটেকচারে পোর্ট করতে সক্ষম। এটি এটিকে অন্যদের সাথে ভাগ করে নেওয়ার বা কিছু ক্ষেত্রে বাজারজাত করার সুযোগ দেয়।
=== উদাহরণ ===
প্রোপ্রাইটি সফটওয়্যারের সবচেয়ে বেশি ব্যবহারকারীদের মধ্যে একটি হলো [https://www.microsoft.com/en-gb মাইক্রোসফট কর্পোরেশন] । [[উইন্ডোজ এক্সপি]] এবং [[উইন্ডোজ ৮|উইন্ডোজ ৮ এর]] মতো অপারেটিং সিস্টেম থেকে শুরু করে বিশ্বব্যাপী প্রভাবশালী [[মাইক্রোসফট অফিস]] প্রোগ্রাম পর্যন্ত প্রতিটি সফটওয়্যারই সুরক্ষার যথাযথ ব্যবস্থা ব্যবহার করে। মালিকানাধীন প্রোগ্রামগুলোর আরও উদাহরণগুলোর মধ্যে রয়েছে; [http://www.adobe.com/ অ্যাডোবি ফ্ল্যাশ প্লেয়ার], [[আইটিউন্স|আইটিউনস]] এবং [[ম্যাকওএস|ম্যাক ওএস এক্স]] ।
=== সুবিধা ===
মালিকানাধীন সফটওয়্যার ব্যবহারের সুবিধা এবং অসুবিধা উভয়ই রয়েছে। উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যার সিস্টেমের পরিবর্তে মালিকানাধীন সফটওয়্যার সিস্টেম ব্যবহারের সুবিধা হলো যে পণ্যটি ব্যবহার করার সময় আপনার যে কোনও সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে তার জন্য অনেক বেশি নিবেদিতপ্রাণ সহায়তা রয়েছে। যেহেতু মালিকানাধীন সফটওয়্যারটি কোনও কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান দ্বারা তৈরি করা হয় এবং পণ্য হিসেবে বিক্রি করা হয়, তাই কোনও সমস্যা হলে বা সিস্টেম ইনস্টল/সেট আপ করার ক্ষেত্রে যদি তাদের সাহায্যের প্রয়োজন হয়, তাহলে গ্রাহকদের জন্য সর্বদা সহায়তা পাওয়া নিশ্চিত করা কোম্পানির স্বার্থে। এটি উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যার থেকে আলাদা, যেখানে একটি কমিউনিটি সাপোর্ট সিস্টেম বেশি থাকে যেখানে সঠিক সমাধান খুঁজে না পাওয়া পর্যন্ত আপনাকে বিভিন্ন সমাধান অনুসন্ধান করতে হতে পারে। মালিকানাধীন সফটওয়্যার সাধারণত ব্যবসায়িক জগতের চাহিদা পূরণের জন্য এবং বাজারের চাহিদা পূরণের জন্য তৈরি করা হয়। এই কারণে, মালিকানাধীন সফটওয়্যারে প্রায়ই উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যারের তুলনায় বেশি বৈশিষ্ট্য থাকে, উদাহরণস্বরূপ, ওয়ার্ড এবং এক্সেল সহ সমস্ত [[মাইক্রোসফট অফিস]] অ্যাপ্লিকেশনগুলোকে একই সাথে একই কাজে কাজ করার জন্য একসাথে লিঙ্ক করা যেতে পারে।
=== সমালোচনা ===
মালিকানাধীন সফটওয়্যারের একটি প্রধান সমালোচনা হলো যে এই ধরণের সফটওয়্যারের বেশিরভাগই কেবল ক্রয়ের মাধ্যমে পাওয়া যায়। এই ধরণের সফটওয়্যারের দামের পরিসর সস্তা থেকে শুরু করে খুব ব্যয়বহুল পর্যন্ত হতে পারে, উদাহরণস্বরূপ, [[উইন্ডোজ ১০|Windows ১০]] £২৯.৯৯ পর্যন্ত সস্তা হতে পারে। এটি [[অ্যাডোবি ফটোশপ|Adobe Photoshop]] এর মতো অন্যান্য প্রোগ্রামের দাম £২০০০ এ কেনা যাবে। দামের এই পরিসরটি সাধারণ ব্যবহারকারীর জন্য খুবই বিরক্তিকর হতে পারে কারণ একটি কম্পিউটার প্রোগ্রামের জন্য হাজার হাজার পাউন্ড খরচ করা খুবই অযৌক্তিক বলে মনে হয়। মালিকানাধীন সফটওয়্যারের আরও একটি সমালোচনা হলো এর সোর্স কোড দেখতে এবং প্রোগ্রামের কোডিং পরিবর্তন করতে না পারা। ব্যবসায়িক জগতে বিদ্যমান চাহিদা এবং প্রয়োজনীয়তা ক্রমাগত পরিবর্তিত হচ্ছে। এই ক্রমাগত পরিবর্তনশীল পরিবেশের সাথে, মালিকানাধীন সফটওয়্যার প্রায়ই তাদের গ্রাহকদের চাহিদার সাথে তাল মিলিয়ে চলতে পিছিয়ে পড়তে পারে। এটি উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যারের বাজার উন্মুক্ত করে দেয় কারণ ব্যবহারকারীরা চাইলে তাদের উদ্দেশ্য অনুসারে সফটওয়্যারের কার্যকারিতা পরিবর্তন করতে পারেন। মালিকানাধীন সফটওয়্যারে কাস্টমাইজেশন এবং স্ব-উন্নতির অভাবের কারণেই অনেক মানুষ উন্মুক্ত উৎসের সিস্টেম ব্যবহার করতে পছন্দ করে।
=== ওপেন সফটওয়্যার বনাম মালিকানাধীন সফটওয়্যার ===
ওপেন সফটওয়্যার মূলত এমন একটি সফটওয়্যার যা সকলের জন্য বিনামূল্যে এবং প্রাপ্যতাযোগ্য। এটি তাদের চাহিদা পূরণের জন্য প্রোগ্রামটি পরিবর্তন করতে দেয়। এটি অনেক কম্পিউটিং ভক্তদের বিশ্বাস করা অনেক মূল থিম এবং ধারণার একটি অনুসরণ করে। তবে একটি খুব বড় নিরাপত্তা ঝুঁকি রয়েছে এবং ওপেন সফটওয়্যার ব্যবহার করার সময় অনেক লাইসেন্সিং আইন বিবেচনায় নিতে হয়। অন্যদিকে মালিকানাধীন সফটওয়্যার আছে যা অর্থায়ন করা হয় এবং আপনাকে এর জন্য অর্থ প্রদান করতে হবে। এর একটি গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ হলো উইন্ডোজ এক্সপি। প্রায়শই মালিকানাধীন সফটওয়্যার হ্যাকারদের তাদের সিস্টেমে থাকা যেকোনো ত্রুটি বা বাগ কাজে লাগাতে বলে। কিন্তু যখন সমস্যাটি শনাক্ত করা হয়, তখন প্রায়ই তারা এই সমস্যা সমাধানের জন্য কিছু করে না। কারণ এতে অন্যান্য পক্ষের আগ্রহ থাকে। ওপেন সফটওয়্যার খুবই উপকারী কারণ এটি একাধিক ব্যক্তিকে একই জিনিসে একসাথে কাজ করার সুযোগ দেয়, যেমন এই প্রকল্পটি। এটি খুবই কার্যকর, ব্যক্তিদের অন্যদের কাজ পর্যালোচনা করার সুযোগ করে দেওয়ার ফলে আরও সমস্যা চিহ্নিত এবং সমাধান করা হবে। ব্যবহারে খুবই উপকারী, ওপেন সফটওয়্যার আপনাকে একসাথে একাধিক ব্যবহারকারী রাখার সুযোগ দেয়, তবে এটির অপব্যবহার না করা গুরুত্বপূর্ণ। কোনও বাগ-মুক্ত সফটওয়্যার নেই, এটি ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং আরও ভালোর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। প্রোপ্রাইটারি সফটওয়্যারে CLI-এর বিপরীতে GUI এবং ইন্টারঅ্যাকশন বেশি থাকে। এটি সাধারণত ওপেন সফটওয়্যারের সাথে সম্পর্কিত। একটি GUI (গ্রাফিক্যাল ইউজার ইন্টারফেস) মূলত ছবির একটি সিরিজ, একটি মেনু। এটি দ্রুত এবং সহজেই ঘুরে দেখা যায় এবং ব্যবহার করা যায়। এটি এমন ব্যবহারকারীদের জন্য খুবই উপকারী যারা কম্পিউটার শিক্ষিত নন এবং কেবল দ্রুত প্রযুক্তি ব্যবহার করতে চান।
== উন্মুক্ত উৎসের ও মালিকানাধীন সফটওয়্যারের ভবিষ্যৎ ==
উন্মুক্ত উৎসের পূর্ব-বিদ্যমান নকশা এবং ব্লুপ্রিন্টের পরিবর্তন এবং পুনর্বণ্টনকে সর্বজনীনভাবে অবাধে উপলব্ধ করার সুযোগ দেয়। প্রোগ্রামিংয়ের ক্ষেত্রে ওপেন সোর্সের ভবিষ্যৎ নিঃসন্দেহে অনেক প্রোগ্রামার এবং ব্যবসার দ্বারা ব্যবহৃত হতে থাকবে। [http://www.zdnet.com/ ZDNet] দ্বারা পরিচালিত একটি জরিপে দেখা গেছে, ৭৮% কোম্পানি তাদের অনুশীলনে উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যার ব্যবহারের সাথে খাপ খাইয়ে নিয়েছে। এটি একটি স্মরণীয় পদক্ষেপ কারণ ২০১০ সালে "ওপেন সোর্সের ভবিষ্যৎ" জরিপের প্রতিক্রিয়ায়, মাত্র ৪২% কোম্পানি বলেছিল যে তারা OSS ব্যবহার করে। ৯৩% বলেছেন যে গত বছর ধরে ওপেন সোর্সের ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়েছে অথবা স্থির রয়ে গেছে। বর্তমানে, ৬৪% কর্পোরেশন উন্মুক্ত উৎসের প্রকল্পে অংশগ্রহণ করে - যা ২০১৪ সালের তুলনায় ১৪% বেশি। উন্মুক্ত উৎসের প্রকল্পে কোম্পানিগুলোর সম্পৃক্ততার অদূর ভবিষ্যতের পূর্বাভাস ৮৮%-এ উন্নীত হবে বলে আশা করা হচ্ছে <ref>http://www.zdnet.com/article/its-an-open-source-world-78-percent-of-companies-run-open-source-software/</ref>
একজন প্রোগ্রামার হিসেবে উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যারের ভবিষ্যৎ ইতিমধ্যেই তাদের দৈনন্দিন জীবনের অংশ। একজন আধুনিক প্রোগ্রামার হিসেবে, আপনার বর্তমান প্রকল্পগুলোর বেশিরভাগই ইতিমধ্যেই অন্যান্য প্রোগ্রামাররা তাদের বিনামূল্যে উপলব্ধ কোড Github-এর মতো ওয়েবসাইটে রেখে সম্পন্ন করেছেন। এর ফলে ব্যবহারকারীরা এই উন্মুক্ত উৎসের প্রকল্পগুলো ডাউনলোড এবং শেয়ার করতে পারবেন। <ref>https://github.com/github</ref> আজকাল প্রোগ্রামাররা ইতিমধ্যেই করা কোড পুনরায় লিখতে চান না। অদূর ভবিষ্যতে, প্রোগ্রামাররা কেবল উন্মুক্ত উৎসের কোডের কিছু অংশ নেবে এবং সেই প্রকল্পটিকে আরও অনেকের সাথে একত্রিত করে একটি চূড়ান্ত প্রকল্প তৈরি করবে। এটি বিভিন্ন দক্ষতা স্তরের প্রোগ্রামারদের এই উন্মুক্ত উৎসের প্রকল্পগুলো বুঝতে এবং বাস্তবায়ন করতে সাহায্য করে, এছাড়াও প্রোগ্রামারদের একটি প্রকল্প সম্পূর্ণ করার জন্য সময় এবং অর্থ সাশ্রয় করে।
উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যারের ভবিষ্যৎ আমাদের সমাজের প্রযুক্তির অগ্রগতির উপর নাটকীয় প্রভাব ফেলবে। এর একটি উদাহরণ হতে পারে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি হেডসেট, ওকুলাস রিফট। এই হেডসেটের সম্পূর্ণ সোর্স কোড ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে জনসাধারণের জন্য প্রকাশ করা হয়েছিল। <ref>http://www.forbes.com/sites/jasonevangelho/2014/01/10/rumor-oculus-rift-will-launch-summer-2014-for-less-than-499/#fe6788046985</ref> এই হেডসেটটি সম্পূর্ণরূপে উন্মুক্ত উৎসের হওয়ার পর এই পণ্যটির অগ্রগতি অসাধারণ। ২০১৪ সালে ওকুলাস রিফটসের সোর্স কোড প্রকাশের পর এটি স্যামসাং গিয়ার ভার্চুয়াল রিয়েলিটি হেডসেটের মতো নতুন ভার্চুয়াল রিয়েলিটি হেডসেটগুলো বুঝতে এবং তৈরি করতে সহায়তা করেছে। <ref>http://www.samsung.com/uk/consumer/mobile-devices/wearables/gear/SM-R320NPWABTU</ref>
বিল গেটস ১৯৯৪ সালের পর জন্মগ্রহণকারী শিশুদের ইন্টারনেটের সাথে বেড়ে ওঠা প্রথম প্রজন্ম হিসেবে উল্লেখ করেছেন। ১০-১২ বছর বয়সী ৯০% শিশু অনলাইন গেম খেলে। <ref>https://hbr.org/2012/04/the-mobile-re-generation</ref> যেহেতু এই শিশুদের মধ্যে প্রযুক্তি তাদের জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ, তাই এখন অনেক স্কুলে প্রোগ্রামিং শেখানো হচ্ছে। শিশুদের প্রোগ্রামিং দক্ষতা বিকাশের জন্য এখন প্রোগ্রামিং ক্লাব প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। <ref>http://coderdojostirling.com/</ref> এর থেকে বোঝা যায়,প্রযুক্তির ব্যবহার বছরের পর বছর ধরে বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে ওপেন সোর্সের ব্যবহারও বৃদ্ধি পাবে। সকল বয়সের শিশুরা তাদের নিজস্ব আনন্দের জন্য প্রকল্পগুলো সম্পন্ন করার জন্য উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যার ব্যবহার করে। এখন স্কুলে শিশুরা প্রোগ্রামিং শিখছে, তাই অনলাইন ইন্টারেক্টিভ প্রোগ্রামিং ক্লাসগুলো ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। <ref>https://www.codecademy.com/learn</ref> বেশিরভাগ মানুষের কাছে ইন্টারনেট সহজলভ্য হওয়ার সাথে সাথে, এই ইন্টারেক্টিভ প্রোগ্রামিং ক্লাসের ব্যবহার ক্রমশ বৃদ্ধি পাবে। এর অর্থ হলো, যত বেশি মানুষ প্রোগ্রামিং শিখবে, ওপেন সোর্সের ব্যবহার তত বাড়বে।
'উন্মুক্ত উৎসের গ্রাহক এবং ব্যবসার মধ্যে স্বাধীনতা প্রদান করে', <ref>http://open-source.gbdirect.co.uk/migration/benefit.html#flexibilityfreedom</ref> কিছু মালিকানাধীন সফটওয়্যার নমনীয় বলে দাবি করে কিন্তু নমনীয়তা সৃজনশীলতাকে বোঝায় এবং উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যার ব্যবহারের মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা কোনও সীমা ছাড়াই তাদের নিজস্ব প্রয়োজনের জন্য নিজস্ব সফটওয়্যার তৈরি করতে পারে। উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যার ব্যবহারকারীদের নিয়ন্ত্রণে থাকতে, তাদের নিজস্ব সিদ্ধান্ত নিতে এবং তারা যা চায় তা করতে সাহায্য করে। <ref>http://www.pcworld.com/article/209891/10_reasons_open_source_is_good_for_business.html</ref> আজকাল মানুষ জানে তারা কী চায় এবং কীভাবে তারা কাজ করতে চায়, এবং প্রযুক্তি আমাদের জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে ওঠার সাথে সাথে উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যারের ব্যবহারও বৃদ্ধি পাবে।
মানুষ এমন ব্যক্তি যারা নিজের সিদ্ধান্ত নিতে এবং স্বাধীনভাবে কাজ করতে পছন্দ করে এবং উন্মুক্ত উৎসের এই ধারণাকে সম্পূর্ণরূপে সমর্থন করে। ওপেন সোর্সের ভবিষ্যৎ খুবই ইতিবাচক দেখাচ্ছে; বর্তমানে এটি ইতিমধ্যেই প্রযুক্তিগত জীবনযাত্রার একটি সমন্বিত অংশ। সাধারণত, আজকাল উৎপাদিত প্রতিটি সফটওয়্যারের উন্নয়নে উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যার ব্যবহার করা হয়। বছরের পর বছর ধরে প্রযুক্তিগত অগ্রগতি উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যার ব্যবহারের দ্বারা ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হয়েছে। কারণ প্রতিটি প্রোগ্রামারের হাতে বিশাল ডেভেলপার রয়েছে। এছাড়াও ১৯৯৪ সালের পরে জন্ম নেওয়া শিশুদের দৈনন্দিন জীবনে এখন প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু হয়েছে, তাদের ছোটবেলা থেকেই প্রোগ্রামিং শেখানো হচ্ছে এবং ব্যক্তিরা অনলাইনে ইন্টারেক্টিভ প্রোগ্রামিং ক্লাসেও অংশগ্রহণ করছে। প্রযুক্তির ক্রমাগত অগ্রগতি এবং ব্যবহারের সাথে সাথে এটি অনিবার্য যে সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্টের ক্ষেত্রে উন্মুক্ত উৎসের ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হবে কারণ এর অনেক সুবিধা রয়েছে। ভবিষ্যতেও উন্মুক্ত উৎসের ব্যবহার অব্যাহত থাকবে, তবে উন্মুক্ত উৎসের ইতিমধ্যেই প্রযুক্তিগত উন্নয়নের একটি সমন্বিত অংশ। '''ভবিষ্যৎ এখানেই।'''
== শব্দকোষ ==
== শব্দকোষ ==
সমস্ত শর্তাবলী ইন্টারনেট অফ এভরিথিংয়ের উপরের অধ্যায় থেকে নেওয়া হয়েছে। সমস্ত সংজ্ঞা উইকিপিডিয়া এবং অক্সফোর্ড অভিধান থেকে নেওয়া হয়েছে।
4Chan 4chan একটি ইংরেজি ভাষার ইমেজ বোর্ড ওয়েবসাইট। ব্যবহারকারীরা সাধারণত বেনামে পোস্ট করেন, সাম্প্রতিকতম পোস্টগুলি বাকিগুলির উপরে প্রদর্শিত হয়। 4chan তাদের নিজস্ব নির্দিষ্ট সামগ্রী এবং নির্দেশিকা সহ বিভিন্ন বোর্ডে বিভক্ত। রেজিস্ট্রেশনের প্রয়োজন হয় না, বা এটি সম্ভব নয় (স্টাফ ব্যতীত)।
অ্যান্ড্রয়েড একটি অপারেটিং সিস্টেমের নাম, প্রধানত ম্যাক নয় এমন ডিভাইসগুলিতে ব্যবহৃত হয়।
অনামী অ্যানোনিমাস অ্যাক্টিভিস্ট এবং হ্যাক্টিভিস্ট সত্তাগুলির একটি আলগাভাবে যুক্ত আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক। এই গোষ্ঠীর সাথে নামমাত্র যুক্ত একটি ওয়েবসাইট এটিকে "একটি ইন্টারনেট সমাবেশ" হিসাবে বর্ণনা করে "একটি খুব আলগা এবং বিকেন্দ্রীভূত কমান্ড কাঠামো যা নির্দেশের পরিবর্তে ধারণার উপর কাজ করে"
লেখক লেখার পেশা, লেখার উৎস (লেখক হিসাবে) লেখা, সঙ্গীত বা শিল্পের একটি অংশ।
ক্রিয়েটিভ কমন্স ক্রিয়েটিভ কমন্স একটি অলাভজনক সংস্থা যা বিনামূল্যে আইনি সরঞ্জামগুলির মাধ্যমে সৃজনশীলতা এবং জ্ঞান ভাগ করে নেওয়া এবং ব্যবহার সক্ষম করে।
জ্ঞানীয় লোড ওয়ার্কিং মেমরিতে ব্যবহৃত মানসিক প্রচেষ্টার পরিমাণ।
কাস্টমাইজেবিলিটি আপনাকে আপনার প্রয়োজন অনুসারে কিছু কাস্টমাইজ এবং সম্পাদনা করার অনুমতি দেওয়ার কাজ।
ডারউইন উন্মুক্ত উৎসের ইউনিক্স অপারেটিং সিস্টেম যা অ্যাপল দ্বারা নির্মিত এবং ২০০০ সালে মুক্তি পায়।
বিকেন্দ্রীকরণ একটি কেন্দ্রীয় অবস্থান বা কর্তৃপক্ষ থেকে দূরে ফাংশন, ক্ষমতা, মানুষ বা জিনিস পুনরায় বিতরণ বা ছড়িয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া।
ডিজিটাল রাইটস ম্যানেজমেন্ট (DRM) বিভিন্ন প্রাপ্যতা কন্ট্রোল প্রযুক্তি যা মালিকানাধীন হার্ডওয়্যার এবং কপিরাইটযুক্ত কাজগুলির ব্যবহার সীমাবদ্ধ করতে ব্যবহৃত হয়।
একটি নির্দিষ্ট শাসক বা সরকার দ্বারা মালিকানাধীন বা নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলের একটি এলাকা ডোমেন
গুটেনবার্গ ছাপাখানার স্রষ্টা।
হ্যাকার একজন ব্যক্তি যিনি ডেটাতে অননুমোদিত প্রাপ্যতা অর্জনের জন্য কম্পিউটার ব্যবহার করেন।
হ্যাক্টিভিজম হ্যাক্টিভিজম হ'ল রাজনৈতিক বা সামাজিকভাবে অনুপ্রাণিত উদ্দেশ্যে হ্যাকিং বা কম্পিউটার সিস্টেমে প্রবেশ করার কাজ। যে ব্যক্তি হ্যাক্টিভিজমের কাজ করে তাকে হ্যাক্টিভিস্ট বলা হয়।
হার্ডওয়্যার বস্তু যা বাস্তব। এটি আপনি শারীরিকভাবে স্পর্শ করতে এবং সরাতে পারেন। কম্পিউটার হার্ডওয়্যার স্পিকার, কীবোর্ড ইত্যাদি নিয়ে গঠিত।
ল্যাম্প একটি অ্যাব্রেভিয়েশন যা একটি কম্পিউটারের অপারেটিং সিস্টেমকে কভার করে। লিনাক্স, অ্যাপাচি, মাইএসকিউএল, পিএইচপি।
লিনাক্স সফটওয়্যারটির একটি অংশ যা উন্মুক্ত উৎসের ও আপনাকে নিজের অপারেটিং সিস্টেমটি সম্পূর্ণ করতে এবং লিখতে সক্ষম করে। অপারেটিং সিস্টেম ইউনিক্সের ভিত্তি ব্যবহার করে।
মেমস একটি প্রযুক্তি যা তার সবচেয়ে সাধারণ আকারে ক্ষুদ্র যান্ত্রিক এবং ইলেক্ট্রো-মেকানিক্যাল উপাদান (যেমন, ডিভাইস এবং কাঠামো) হিসাবে সংজ্ঞায়িত করা যেতে পারে যা কৌশলগুলি ব্যবহার করে তৈরি করা হয় মাইক্রো ফ্যাব্রিকেশন।
মাইক্রোসফট অফিস মাইক্রোসফট অফিস সিস্টেম মাইক্রোসফট দ্বারা তৈরি কম্পিউটার প্রোগ্রামগুলির একটি সংগ্রহ। প্রোগ্রাম সব ব্যবহারকারীর জন্য তৈরি করা হয়। হোম ব্যবহারকারীদের জন্য এবং ব্যবসায়িক ব্যবহারকারীদের জন্য সফটওয়্যারটির বিভিন্ন সংস্করণ রয়েছে।
নাসা ন্যাশনাল অ্যারোনটিক্স অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন।
ই এম এর নির্মাতারা যারা নিজের নামে এবং ব্র্যান্ডিংয়ের অধীনে অন্য সংস্থার পণ্য পুনরায় বিক্রয় করে।
ওপেন অফিস একটি উন্মুক্ত উৎসের অফিস প্রোডাক্টিভিটি স্যুট। সফটওয়্যার মাইক্রোসফট উইন্ডোজ, অ্যাপল ম্যাকস এবং লিনাক্স সহ সমস্ত প্রধান অপারেটিং সিস্টেমের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
উন্মুক্ত উৎসের এমন সফটওয়্যার নির্দেশ করা যার জন্য মূল উত্স কোডটি বিনামূল্যে উপলব্ধ করা হয়েছে এবং পুনরায় বিতরণ এবং সংশোধন করা যেতে পারে।
মেরুকরণ সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে (একটি ট্রান্সভার্স তরঙ্গ, বিশেষত আলো) এর কম্পনকে এক দিকে সীমাবদ্ধ করুন।
গোপনীয়তা এমন একটি রাষ্ট্র যেখানে কেউ অন্য লোকেদের দ্বারা পর্যবেক্ষণ বা বিরক্ত হয় না।
মালিকানা সফটওয়্যার যা কোনও ব্যক্তি বা সংস্থার মালিকানাধীন (সাধারণত এটি বিকাশকারী)। এর ব্যবহারের উপর প্রায় সর্বদা বড় বিধিনিষেধ রয়েছে এবং এর উত্স কোডটি প্রায় সর্বদা গোপন রাখা হয়।
সার্ভার একটি কম্পিউটার বা কম্পিউটার প্রোগ্রাম যা একটি নেটওয়ার্কে একটি কেন্দ্রীভূত সম্পদ বা পরিষেবা প্রাপ্যতা পরিচালনা করে।
সফটওয়্যার একটি কম্পিউটার দ্বারা ব্যবহৃত প্রোগ্রাম এবং অন্যান্য অপারেটিং তথ্য।
সিস্টেম একটি প্রক্রিয়া বা একটি আন্তঃসংযোগকারী নেটওয়ার্কের অংশ হিসাবে একসাথে কাজ করা জিনিসগুলির একটি সেট; একটি জটিল সমগ্র।
টেলিটেক্সট পাঠ্য এবং গ্রাফিক্স আকারে একটি সংবাদ এবং তথ্য পরিষেবা, উপযুক্ত রিসিভার সহ টেলিভিশনগুলিতে বিদ্যমান টেলিভিশন চ্যানেলগুলির অতিরিক্ত ক্ষমতা ব্যবহার করে প্রেরণ করা হয়।
3aym3obbdlgp7eibbbcxdv4d6is0e47
85826
85818
2025-07-08T08:49:15Z
MS Sakib
6561
85826
wikitext
text/x-wiki
= ওপেন সোর্স এবং মালিকানাধীন প্রযুক্তি =
== ভূমিকা ==
[[সবকিছুর জন্যেই ইন্টারনেট?|"সবকিছুর জন্যেই ইন্টারনেট?"]] উইকিবইয়ের এই অধ্যায়ে [[উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যার|উন্মুক্ত উৎসের]] এবং মালিকানাধীন প্রযুক্তির মূল ধারণাগুলো অন্বেষণ করা হবে। ১৯৭০-এর দশকে শুরু হওয়া এই দুই ধরণের সফটওয়্যারের ঐতিহাসিক বিকাশ তাদের স্রষ্টা, অবদানকারী এবং তৈরি প্রযুক্তিগত পণ্যের রেফারেন্সের সাথে পরীক্ষা করা হবে। ১৯৮০ এবং ১৯৯০ এর দশকে উন্নয়ন অব্যাহত থাকার সাথে সাথে [[হ্যাকার সংস্কৃতি|'হ্যাকারদের']] ব্যাপকতা এবং গুরুত্ব আরও প্রাসঙ্গিক হয়ে ওঠে। বিষয়কে ঘিরে নৈতিক যুক্তিগুলোও তাই। এই অধ্যায়ে দুটি বিপরীতমুখী সফটওয়্যারের পরিপ্রেক্ষিতে মেধাস্বত্ব বা [[মেধাস্বত্ব|কপিরাইট]] এবং [[ক্রিয়েটিভ কমন্স লাইসেন্স|ক্রিয়েটিভ কমন্সের]] ধারণাগুলোও বিশ্লেষণ করা হবে। দুটি ভিন্ন সফটওয়্যারের গভীর বিশ্লেষণের মাধ্যমে তাদের ক্ষমতার সুবিধা এবং অসুবিধা সম্পর্কে আলোচনা করা হবে। ওপেন সোর্স এবং মালিকানাধীন সফটওয়্যারের এই ভিত্তিগত গবেষণা ব্যবহার করে এই অধ্যায়টি দুটি সফটওয়্যারের সমসাময়িক উদাহরণ, তাদের অ্যাপ্লিকেশন এবং একই সাথে একাধিক প্ল্যাটফর্মে কাজ করার ক্ষেত্রে তাদের কার্যকারিতা সম্পর্কিত বিতর্কগুলো পর্যালোচনা করা হবে।
== উন্মুক্ত ও মালিকানাধীন সফটওয়্যারের ইতিহাস ==
একজন লেখক এবং লেখকত্বের সারমর্ম হোমার প্রবর্তন করেছিলেন। আগেরকার গল্পগুলো মুখে মুখে বলে পরিবেশিত হত। ফলে মূল দুটি গল্প কখনও হুবুহু এক হতো না। "বার্ড"দের পরিবেশিত এসব গল্পে উন্মুক্ত বাক্যাংশ ব্যবহার করে একটি গল্পের ভিত্তি তৈরি করা হতো। তবে প্রতি দুইটি গল্প একই হতো কিনা, তা এখানে নিশ্চিত করা হতো না।
হোমারই প্রথম ব্যক্তি যিনি কাগজে কলম লাগিয়ে একটি প্রতিলিপি তৈরি করেছিলেন। এর একটি প্রধান উদাহরণ হলো '[[w:ওডিসি|দ্য ওডিসি]]'। এই নতুন ধারণাটি চালু হওয়ার সাথে সাথে হোমার একটি কাল্পনিক জগতকে বৈধতা দিয়েছিলেন। একজন লেখক হওয়ার সাথে সাথেই লেখা বিতরণের চারপাশে একটি সৃজনশীল শিল্প শুরু হয়। লেখার পিছনে কেন আমাদের প্রক্রিয়া আছে এবং কীভাবে সেগুলো কাজ করে এবং বিতরণ করা হয়, সে সম্পর্কে লেখকরা গুরুত্বপূর্ণ। হোমার কপিরাইট আইন এবং রয়্যালটিগুলোতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।
হোমার প্রতিলিপি লেখার আদর্শ প্রবর্তন করার পর স্পষ্ট হয়ে ওঠে, এর কপি ছিল সীমিত। কারণ প্রতিটি কপি হাতে লিখতে হত। প্রায়ই এসব তৈরি করতে কয়েক মাস পর্যন্ত সময় লাগত। এরপর গুটেনবার্গ ১৫০০ সালের দিকে প্রথম ছাপাখানা চালু করেন। এর ফলে কপি করা দ্রুততর হয় এবং লেখকদের পাঠক সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। শেক্সপিয়র মূলত এভাবেই খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। কারণ তিনি দ্রুত ধারাবাহিকভাবে প্রচুর প্রতিলিপি তৈরি করতে সক্ষম হয়েছিলেন। তবে আধুনিক সমাজে আমরা এই যুগান্তকারী আবিষ্কারটিকে হালকাভাবে নিই। কারণ আমরা কোনও দ্বিধা ছাড়াই মূল মালিককে এর রয়্যালটি বা স্বীকৃতি না দিয়েই কোনও কাজের অনুলিপি তৈরি করতে পারি।
বিভিন্ন প্রতিলিপি প্রাপ্যতা করার দ্রুততার কারণে, একটি রেজিস্টার বাস্তবায়ন করা হয়েছিল যাতে কেবলমাত্র নির্দিষ্ট কিছু প্রত্যয়িত ছাপাখানাগুলোকে কেবল নির্দিষ্ট প্রতিলিপি মুদ্রণের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। তাদের একটি নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে মুদ্রণের অনুমতিপ্রাপ্ত সংখ্যার উপরও একটি সীমা ছিল। লেখক যাতে তাদের শ্রেষ্ঠ রচনাগুলোর জন্য খ্যাতি এবং বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করতে পারেন, সেজন্য এটি চালু করা হয়েছিল। স্পষ্টতই এটি ১৫০০ এর দশকের মধ্যে এবং তার পরেও ব্যবহৃত হয়েছিল। আজকের আধুনিক যুগে আমরা লেখকত্ব এবং রয়্যালটি সমর্থন করার জন্য ক্রমাগত কপিরাইট আইন প্রয়োগ করছি।
=== <u>১৯৮০ সালের পূর্ববর্তী</u> ===
==== ইউনিক্স ====
বলা হয় [http://www.unix.org/ ইউনিক্স] হলো কম্পিউটিংয়ের প্রযুক্তিগত অগ্রগতির সূচনা। ১৯৭০-এর দশকের গোড়ার দিকে এটি ছিল সি প্রোগ্রামিং ভাষায় লেখা প্রথম অপারেটিং সিস্টেম। এর মূল স্রষ্টা কেন থম্পসন এবং ডেনিস রিচি ছিলেন বলে বিশ্বাস করা হয়।<ref>http://www.unix.org/what_is_unix/history_timeline.html</ref> এটি ছিল প্রথম ওপেন সোর্সড অপারেটিং সিস্টেম যা যে কেউ বিনামূল্যে যোগ করতে, উন্নত করতে এবং উন্নত করতে পারত।<ref>http://www.unix.org/what_is_unix.html</ref> লিনাক্স সহ এখন পর্যন্ত বেশিরভাগ অপারেটিং সিস্টেমের ভিত্তি ইউনিক্স।
=== <u>১৯৮০–১৯৮৯</u> ===
==== ইউজনেট ====
ওপেন সোর্স এবং মালিকানাধীন প্রযুক্তির সূচনা ১৯৮০ এর দশকের আগেই শুরু হয়েছিল। কিন্তু এই সময়ের আগে খুব বেশি কিছু সহজলভ্য ছিল না। কারণ ১৯৮০ সালের আগে [https://en.usenet.nl/ ইউজনেটের] আগমন ঘটেনি। বিশ্বব্যাপী ভাগাভাগি এবং সহযোগিতার প্রথম উপায় ছিল ইউজনেট। ইউজনেট প্রকাশের সাথে সাথে এটি ওপেন সোর্স তথ্য ভাগাভাগি এবং ফাইল ভাগাভাগি উভয়েরই সূচনা করে।
==== গ্নু প্রকল্প/মুক্ত সফটওয়্যার আন্দোলন ====
ওপেন সোর্স এবং মালিকানাধীন সফটওয়্যারের পরবর্তী ঐতিহাসিক মুহূর্ত ছিল রিচার্ড স্টলম্যানের দ্বারা গ্নু প্রকল্পের ভূমিকা। [https://www.gnu.org/ গ্নু] হলো ব্যবহারকারীদের স্বাধীনতাকে সম্মান করার আরেকটি অপারেটিং সিস্টেম প্রকল্প যা বিভিন্ন ওপেন সোর্স প্রোগ্রাম দ্বারা করা হয়েছে যা গ্নু সফটওয়্যার নিজেই তৈরি করে না। যখন গ্নু তৈরি হয়েছিল, তখন [http://www.gnu.org/philosophy/free-software-intro.en.html "মুক্ত সফটওয়্যার আন্দোলন"] শুরু হয়েছিল। মুক্ত সফটওয়্যার আন্দোলনের ধারণা হলো কম্পিউটার ব্যবহারকারীদের একটি সম্প্রদায় গঠনের স্বাধীনতা প্রাপ্য।
==== ৩৮৬বিএসডি ====
১৯৮০-এর দশকের শেষের দিকে [http://www.386bsd.org/ 386বিএসডি-এর] কাজ শুরু হয়। ৩৮৬বিএসডি "জোলিক্স" নামেও পরিচিত। এটি ইউনিক্স থেকে আসা আরেকটি বিনামূল্যের অপারেটিং সিস্টেম। এটি ঐতিহাসিক মুহূর্তগুলোর আরেকটি অগ্রগতি কারণ এটি পরবর্তীতে Freeবিএসডি এবং Netবিএসডি-এর দিকে পরিচালিত করে।
=== <u>১৯৯০-১৯৯৯</u> ===
==== লিনাক্স ====
এই দশকটি ওপেন সোর্স এবং মালিকানাধীন সফটওয়্যারকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করেছে। অগ্রগতির পাশাপাশি, ১৯৯১ সালে লিনাস টরভাল্ডস লিনাক্স তৈরির সিদ্ধান্ত নেন। এটি গ্নু অপারেটিং সিস্টেমের উপর অগ্রসর হয়, যাতে একটি সম্পূর্ণ বিনামূল্যের এবং ওপেন সোর্স অপারেটিং সিস্টেম প্রদান করা যায়। লিনাক্সের প্রতিষ্ঠাতা ইউনিক্সের নিজস্ব সংস্করণ তৈরি করেছিলেন। তিনি নিজের অপারেটিং সিস্টেম তৈরি করতে চেয়েছিলেন, তবে আপনি কল্পনা করতে পারেন যে দশ মিলিয়ন লাইন কোড লিখতে কতটা সময় লাগবে, তাই তিনি ইন্টারনেটে তার দৃষ্টিভঙ্গি ভাগ করে নেন এবং ফলস্বরূপ অনেক কম্পিউটার উৎসাহী এতে যোগ দেন। মূলত এটি ছিল একটি কম্পিউটিং সিস্টেম যা যে কেউ তৈরি এবং ব্যবহার করতে সক্ষম। অপারেটিং সিস্টেমটিকে একই সাথে বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম এবং মাল্টিমিডিয়ামে সংহত করা একটি চ্যালেঞ্জ ছিল। যাইহোক, একবার কার্নেল, অপারেটিং সিস্টেমের ভিত্তি তৈরি হয়ে গেলে, বাকিগুলো পালাক্রমে অনুসরণ করা হয়।
==== লাল টুপি ====
১৯৯৩ সালে [https://www.redhat.com/en/open-source রেড হ্যাটের] প্রতিষ্ঠা ঘটে। রেড হ্যাট একটি লিনাক্স ডিস্ট্রিবিউশন ভিত্তিক কোম্পানি। এটি প্রমাণ করে যে ওপেন সোর্স সফটওয়্যার অত্যন্ত লাভজনক হতে পারে। তারা তাদের নীতিবাক্য পূরণ করার চেষ্টা করে:<div align="center">
<small>"প্রতিটি সমাধান শুরু হয় সমস্যা ভাগ করে নেওয়ার মাধ্যমে। প্রযুক্তি উন্মুক্তভাবে সমৃদ্ধ হয়, যেখানে মানুষ তাদের ধারণা ভাগ করে নেওয়ার এবং অন্যদের কাজের উপর ভিত্তি করে গড়ে তোলার জন্য স্বাধীন।"</small>
<small>"সৃষ্টি সর্বদা সহযোগিতার একটি কাজ" </small>
</div>
==== MySQL/Java 1.0 ====
১৯৯৫ সালে [https://www.mysql.com/ মাইএসকিউএল] এবং প্রথম [https://java.com/en/ জাভা] সোর্স প্রোগ্রামিং ভাষা উভয়ই প্রকাশিত হয়েছিল। মাইএসকিউএল হলো একটি ওপেন-সোর্স রিলেশনাল ডাটাবেস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম। এটি ISAM ভাষার উপর ভিত্তি করে তৈরি। জাভা ১.০ এর প্রথম পাবলিক রিলিজটিও ১৯৯৫ সালে [https://www.oracle.com/sun/index.html?PHPSESSID=8fd76773d26875481e097a4a27c7a6a1 সান মাইক্রোসিস্টেমস] দ্বারা প্রকাশিত হয়েছিল। ২০০৬ সালে OpenJDK চালু হওয়ার পর সান মাইক্রোসিস্টেম সমস্ত জাভা প্যাকেজ ওপেন সোর্সড প্রোগ্রাম তৈরি করে।<div align="center">
<small>জাভা ১.০ প্রতিশ্রুতি দিয়েছে "একবার লিখুন, যেকোনো জায়গায় চালান</small>
</div>
==== অ্যাপাচি ====
পরবর্তীতে দশকের শেষের দিকে আমরা [https://httpd.apache.org/ অ্যাপাচি প্রকাশের মাধ্যমে আরও অগ্রগতি দেখতে পাই।] অগ্রগতি স্থবির হয়ে পড়ার পর NCSA HTTPd সার্ভারগুলোতে সম্প্রসারণের প্রয়াসে অ্যাপাচি-র উপর ভিত্তি তৈরি করা হয়েছিল অ্যাপাচি হলো একটি অবাধে উপলব্ধ ওয়েব সার্ভার। এটি একটি ওপেন সোর্স লাইসেন্সের অধীনে বিতরণ করা হয়।
==== নেটস্কেপ ====
১৯৯৮ সালে [http://isp.netscape.com/ নেটস্কেপ] তাদের ওয়েব ব্রাউজার ওপেন সোর্স করে দেয়। মজিলা হলোনেটস্কেপের তৈরি একটি মুক্ত সফটওয়্যার সম্প্রদায়। এটি ওপেন সোর্সড হওয়ার ফলে ব্যবহারকারীরা পণ্যটি ব্যবহার, বিকাশ এবং প্রসারের সুযোগ পান। <ref>https://www.mozilla.org/en-GB/</ref> এরপর মজিলা [https://www.mozilla.org/en-GB/about/ মজিলা ফায়ারফক্স] তৈরি করে।এটি আজও একটি সুপরিচিত ওয়েব ব্রাউজার।
==== ল্যাম্প ====
LAMP এর বেশিরভাগ ধারণা নিম্নরূপ।
<u>(L) লিনাক্স -</u> অপারেটিং সিস্টেম যা পুরো প্রক্রিয়াটিকে সমর্থন করে।
<u>(A) অ্যাপাচি</u> - অ্যাপাচি হলো একটি ওয়েব সার্ভার। এটি আপনাকে আপনার প্রয়োজনীয় তথ্য অর্জনের জন্য সিস্টেমের সাথে কীভাবে যোগাযোগ করতে হবে তা বলে। এটি একটি গ্রাফিক্যাল ইউজার ইন্টারফেসের (GUI) অনুরূপ। এটি সার্ভারগুলোকে একে অপরের সাথে কীভাবে ইন্টারঅ্যাক্ট করতে হয় তাও বলে।
<u>MySQL</u> বা মাইএসকিউএল হলো ডাটাবেজ। এখানেই সমস্ত তথ্য সংরক্ষণ করা হয় এবং ব্যবহারকারীর কাছে উপস্থাপন করার জন্য পুনরুদ্ধার করা হয়।
<u>PHP</u> - পিএইচপি হলো ব্যবহারকারীর কাছে সিস্টেমের সামগ্রিক সরবরাহ/ যেমন একটি মনিটর, স্পিকার এবং VDU। এটি ব্যবহারকারীকে সামগ্রিক অভিজ্ঞতা প্রদান করে।
কম্পিউটার ব্যবহারের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সবকিছুই ওপেন সোর্স সফটওয়্যারের মাধ্যমে করা হয়।
=== <u>২০০০-২০১০</u> ===
==== ওপেনঅফিস ====
২০০০-এর দশকেও ওপেন সোর্সড এবং মালিকানাধীন সফটওয়্যারের অগ্রগতি অসাধারণ ছিল। ২০০১ সালে ওপেনঅফিস প্রথম প্রকাশিত হয় যা পরবর্তীতে [https://www.openoffice.org/ অ্যাপাচি ওপেনঅফিস], [https://www.libreoffice.org/ লিব্রেঅফিস] এবং ওরাকল ওপেনঅফিসে শাখাভুক্ত হয় (এটিই একমাত্র ক্লোজড সোর্স যা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল)। ওপেনঅফিস ছিল একটি উন্মুক্ত উৎসের অফিস স্যুট প্রোগ্রাম যা মাইক্রোসফট অফিসের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে।
==== উবুন্টু ====
২০০৪ সালের মধ্যেই ডেবিয়ান-ভিত্তিক লিনাক্স ডিস্ট্রিবিউশন [http://www.ubuntu.com/ উবুন্টু] মুক্তি পায়। "উবুন্টু একটি ওপেন সোর্স সফটওয়্যার প্ল্যাটফর্ম। এটি স্মার্টফোন, ট্যাবলেট এবং পিসি থেকে শুরু করে সার্ভার এবং ক্লাউড সর্বত্র চলে।" উবুন্টুর লোগো প্রতীকটি "বন্ধুদের বৃত্ত" প্রতিনিধিত্ব করে। এটি ওপেন সোর্স সফটওয়্যারের সাথে সহযোগিতা প্রদর্শন করে। এটি একটি অত্যন্ত ঐতিহাসিক মুহূর্ত। কারণ এখন উবুন্টুর ২৪টিরও বেশি অফিসিয়াল রিলিজ থাকার পাশাপাশি অনেক অনানুষ্ঠানিক ভার্সনও রয়েছে।
==== গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ ====
এই আলোচনায় চারজন প্রভাবশালী কম্পিউটিং প্রতিভার কথা উল্লেখ করাও গুরুত্বপূর্ণ। তারা তাদের আবিষ্কারের মাধ্যমে বিশ্বকে মুগ্ধ করেছিলেন। ১৯৪৫ সালে স্নায়ুযুদ্ধের প্রাক্কালে <u>বুশ</u> মাইক্রো ফিল্ম ব্যবহার করে প্রথম কম্পিউটার চালু করেন। তিনি বিশ্বাস করতেন যে সকলেরই বিশ্ব জ্ঞানে প্রবেশাধিকার থাকা উচিত। এটি ছিল একটি অত্যন্ত কাল্পনিক পদ্ধতি। বুশ আর্থিক মূল্যের জন্য এই ক্ষেত্রটি অনুসরণ করেননি। বরং তিনি বিশ্বাস করতেন,প্রত্যেকেরই তথ্যের প্রাপ্যযোগ্যতা থাকা উচিত। এনিগমায় তার কাজের জন্য কুখ্যাত <u>টুরিং</u> এমন একটি যন্ত্র তৈরি করেছিলেন যা যেকোনো কিছু গণনা করতে সক্ষম ছিল। তথ্য ইনপুট করার এবং দ্রুত ধারাবাহিকভাবে কম্পিউটিং কোডের মাধ্যমে যন্ত্রের বোধগম্য ভাষাতে রূপান্তর করার সুযোগ পাওয়া যায়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় টুরিং সরকারি কোড এবং সাইবার স্কুলে কাজ করেছিলেন। টুরিংকে একটি দল বরাদ্দ করা হয়েছিল যেখানে তিনি জার্মান নৌ ক্রিপ্ট বিশ্লেষণের দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন। <u>এঙ্গেলবার্ট</u> যুক্তরাজ্যের অন্ধকার প্রধান প্রতিরক্ষার জন্য কাজ করেছিলেন। তিনি দৈত্যদের কাঁধে দাঁড়ানোর উপর বিশ্বাস করতেন এবং বুশ এবং টুরিংয়ের তৈরি পূর্ববর্তী কাজগুলো ব্যবহার করতেন। রিনি অনেক দুর্দান্ত জিনিস অর্জনের জন্য এটিকে প্রসারিত করেছিলেন। সকল ডেমোর জননী ১৯৬৯। তবে অন্য তিনজনের তুলনায় <u>নেলসন</u> ছিলেন খুবই রহস্যময়। নেলসন হাইপারটেক্সট, HTTP এবং মূলত ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব (www) তৈরিতে সহায়তা করেছিলেন। তিনি জানাডু নামে পরিচিত একটি প্রোগ্রামও তৈরি করেছিলেন। ধারণা করা হয়েছিল এটি ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবের চেয়ে বেশি দক্ষ হবে। তবে আগের তিনজনের বিপরীতে নেলসন ধারণাটি পেটেন্ট করতে এবং ফ্র্যাঞ্চাইজির মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে চেয়েছিলেন। দুর্ভাগ্যবশত নেলসনের ক্ষেত্রে এটি কাজ করেনি। শীঘ্রই ধারণাটি ব্যর্থ হয়ে যায়। এই সংক্ষিপ্ত ইতিহাস জুড়ে একটি মূল বিষয়বস্তু হলো সামরিক বাহিনীর সাথে সম্পর্ক এবং যোগাযোগ। যদি সামরিক বাহিনী এবং সম্ভবত বিশ্বযুদ্ধ না থাকত, তাহলে আমরা আজ উন্নয়নের ডিজিটাল জগতে যেখানে আছি সেখানে হয়তো থাকতাম না। এমনকি আইপি ইন্টারনেট প্রোটোকলও সামরিক বাহিনী থেকেই এসেছে/ তবে একটি বিষয় নিশ্চিত, আসলে ডিজিটাল প্রযুক্তি খুবই রাজনৈতিক।
== হ্যাকার নীতি ==
=== হ্যাকারের বিবর্তন: অতীত ও বর্তমান ===
"হ্যাকার" শব্দটির সাধারণ অর্থ বিভিন্ন প্রজন্মের কাছে ভিন্ন ভিন্ন। লেভি (১৯৬৮) বলেছেন, কম্পিউটার বিজ্ঞান জগতের লোকেরা "এই শব্দটিকে উপহাসের একটি রূপ হিসেবে ব্যবহার করত। এর অর্থ হ্যাকাররা হয় অলস সামাজিকভাবে বহিষ্কৃত অথবা "অপেশাদার" প্রোগ্রামার, যারা নোংরা "অমানবিক" কম্পিউটার কোড লিখেছিল"।<ref>Levy, Steven. 1986 ''Hackers: - Heroes of the Computer Revolution''</ref> লেভি হ্যাকার কী তা বর্ণনা করেছেন। তার তুলনায় ডগলাস (২০০২) হ্যাকারদের বর্ণনা করেছেন "একটি সংস্কৃতি হিসেবে, কম্পিউটার উৎসাহীদের একটি দল যারা এমন একটি জায়গা এবং পদ্ধতিতে কাজ করে যা সঠিকভাবে কীভাবে কাজ করে তা জানার জন্য সীমাহীন কৌতূহলের অনুভূতি দ্বারা সংজ্ঞায়িত করা যেতে পারে। তবে এই জ্ঞানকে আরও বিস্তৃত সাংস্কৃতিক ধারণা দ্বারা সংজ্ঞায়িত করা হয়"। <ref>Levy, Steven. 1986 ''Hackers: - Heroes of the Computer Revolution''</ref> আবার দুটি ভিন্ন প্রজন্ম হ্যাকার কী তা বিশ্বাস করে তার দুটি ভিন্ন সংজ্ঞা দেয়। হ্যাকিংয়ের এই ইতিহাসটি একটি জটিল কিন্তু আকর্ষণীয় ক্ষেত্র। কারণ একবিংশ শতাব্দীতে আমরা হ্যাকিংকে একটি অপরাধ হিসেবে জানি। কিন্তু আজকের বিশ্বে অগ্রগতির জন্যেই এটি ব্যবহার করা হয়েছিল। আবার লেভি (২০১৬) উদ্ধৃত করেছেন, "এটি ছিল ভাগাভাগি, উন্মুক্ততা, [[বিকেন্দ্রীকরণ]] এবং যেকোনো মূল্যে মেশিনের উন্নতি এবং বিশ্বকে উন্নত করার জন্য মেশিন হাতে পাওয়ার একটি দর্শন"। এই দর্শন বা নীতিশাস্ত্র তাদের সংস্কৃতির জন্য উপহার ছিল; এমন কিছু যা আমাদের মধ্যে যাদের কম্পিউটারে মোটেও আগ্রহ নেই তাদের জন্যও মূল্যবান। হ্যাকিংয়ের বিবর্তন দেখতে পাওয়া যায় যদি কেউ হ্যাকিংয়ের এই গতিবিধিটি অধ্যয়ন করে যা বর্তমানে "অজ্ঞাত" নামে পরিচিত। কারণ এই আন্দোলনটি শুরু হয়েছিল সহজ ট্রোলিং, অপ্রীতিকর উপাদান ভাগ করে নেওয়া এবং [[ফোরচান|4chan]] ওয়েবসাইটে "মিমস" এর মতো অদ্ভুত নতুন ইন্টারনেট অভিব্যক্তি তৈরির মাধ্যমে। হ্যাকাররা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির এই পটভূমি থেকে এসেছে এবং এটিকে "হ্যাকটিভিজম"-এ রূপান্তরিত করেছে। এটি কোনও উদ্দেশ্যকে সমর্থন, অসম্মান বা ব্যাহত করার সরাসরি উদ্দেশ্য নিয়ে হ্যাকিং। এই "অজ্ঞাত" ভাবে তৈরি করেছে। এগুলো হ্যাকিং বিবর্তনের একটি সহজ ফসল এবং অনেকেই ইতিবাচক হিসেবে দেখবেন এমন কাজ করেছে। যেমন [[কু ক্লাক্স ক্লান|কু ক্লাক্স ক্ল্যানের]] সদস্যদের উন্মোচন করা।
=== সৃজনশীল বনাম অপরাধী ===
কম্পিউটারের প্রাথমিক যুগের সাথে সাথে উন্নতির জন্য সর্বদাই জায়গা ছিল। প্রতি বছর বিভিন্ন হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যার দিয়ে কম্পিউটার আপগ্রেড করা হচ্ছে। এক অর্থে হ্যাকাররা সবসময়ই বোঝাপড়ার জন্য চেষ্টা করত। কিন্তু এগিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে তারা সফটওয়্যারও আপগ্রেড করছিল। অ্যালবার্টস এবং ওল্ডেনজিয়েল (২০১৪) এর বর্ণনা অনুযায়ী হ্যাকার ছিলেন একজন ব্যক্তি "যিনি ইচ্ছাকৃতভাবে বাইরের ব্যক্তির ভূমিকা বেছে নেন, জটিলতাগুলো আয়ত্ত করতে হয়, তালা ভাঙতে হয় এবং বহিষ্কারকে অনুপ্রবেশের মাধ্যমে মোকাবেলা করতে হয়"। তারা আরও ব্যাখ্যা করে, হ্যাকাররা "কোনও ক্ষতি না করার জন্য" অনুপ্রবেশের একটি ছাপ রেখে যেতে চেয়েছিল। বিশ্বজুড়ে হ্যাকার সংস্কৃতিকে ভিন্নভাবে দেখা হয়। অনেক দেশ এই সংস্কৃতিকে বিভিন্ন রূপে ব্যবহার করে। উদাহরণস্বরূপ, যুগোস্লাভ কিশোর-কিশোরী এবং ছাত্ররা পার্টি ও সঙ্গীতের উপসংস্কৃতির অংশ হিসেবে কম্পিউটার "ঝাঁকুনি" দিত। অন্যদিকে ফিনিশ গণতন্ত্রগুলো এটিকে "উদীয়মান প্রোগ্রামারদের তাদের কাজ দেখানোর জন্য" "অনুষ্ঠানের আচার" হিসেবে ব্যবহার করত। অন্যদিকে [[Wau holland|"ওয়াউ হল্যান্ড"]] নামে একজন জার্মান হ্যাকারের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক কার্যকলাপের অভিযোগ আনা হয়েছিল। এর মাধ্যমে তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে একটি ব্যাংকের নিরাপত্তা ত্রুটিগুলো দেখানোর জন্য হ্যাক করেছিলেন। তারা যে সিস্টেমটি হ্যাক করছিল তা ছিল একটি নতুন সিস্টেম যা ব্যাংকটি একটি ইন্টারেক্টিভ টেলিটেক্সট সিস্টেম ( [[Btx (form factor)|Btx]] ) স্থাপন করেছিল। এর প্রধান নিরাপত্তা ত্রুটি ছিল। হ্যাকাররা পাসওয়ার্ডগুলো হেরফের করতে এবং ট্র্যাক করতে সক্ষম হয়েছিল। এই কাজ করে হল্যান্ড এবং তার সহযোগী এক রাতে তাদের অ্যাকাউন্টে €১৩৫,০০০ ট্রান্সফার করতে সক্ষম হন। তাদের ব্যাংক হ্যাক করার চার বছর পর ওয়ার্নারিকে আরও কম্পিউটার অপরাধের জন্য ফ্রান্সে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। ১৯৮৬/৮৭ সালে [[নাসা|নাসার]] মতো সরকারি কর্তৃপক্ষ এবং গবেষণা সংস্থাগুলোর ব্যবহৃত VAX কম্পিউটারগুলোতে একটি বাগ আবিষ্কার করে হ্যাকাররা এই কম্পিউটারগুলোতে প্রাপ্যতা পেতে সক্ষম হয়। এরপর তার বিরুদ্ধে ১০০টি কম্পিউটার থেকে ডেটা প্রাপ্যতা, কপি এবং ধ্বংস করার অভিযোগ আনা হয়। হ্যাকিং জগতের অপরাধমূলক দিকের আরেকটি উদাহরণ হতে পারে ১৯৯০ সালের AT&amp;T-এর দূরপাল্লার টেলিফোন সুইচিং সিস্টেমটি ক্র্যাশ করার ঘটনা। স্টার্লিং (১৯৯৪) ব্যাখ্যা করেছেন, এই দুর্ঘটনার সময় ৬০,০০০ মানুষ নয় ঘন্টার জন্য টেলিফোন পরিষেবা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল। এটি শুরু হয়েছিল কারণ ম্যানহাটনের একটি সুইচিং-স্টেশন AT&T-এর নিজস্ব সিস্টেমে পাওয়া একটি বাগের কারণে ক্র্যাশ হয়ে গিয়েছিল।
=== কম্পিউটার/হ্যাকিং নীতিশাস্ত্রের গঠন ===
হ্যাকিংয়ের ক্ষেত্রে আমরা জানি যে মানুষ বিভিন্ন কারণে এটি করে। ভালো হোক বা খারাপ, তুলনা করার মতো কোনও মধ্যম ক্ষেত্র নেই। টেলর (১৯৯৯:১৩৬) যা বর্ণনা করেছেন যে "হ্যাকিংয়ের নৈতিক জটিলতার মুখোমুখি হলে, তারা এবং আমাদের পরিস্থিতির মেরুকৃত অবস্থানের মধ্যে থাকা নৈতিক নিশ্চিততাগুলো গ্রহণ করার প্রলোভন দেখা দেয়"। গত দশকে প্রযুক্তির অগ্রগতির সাথে সাথে, এটি হ্যাকিং প্রজন্মকে তাদের নিজস্ব জ্ঞান, নতুন হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যার উন্নত করার জন্য বিভিন্ন খেলার মাঠ উপহার দিয়েছে। হ্যাকিং সম্ভব করার অন্যতম প্রধান কারণ হলো গোপনীয়তার সমসাময়িক সংস্কৃতি যা সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং অর্থনৈতিক মিথস্ক্রিয়ার একটি বৃহৎ অংশকে নিয়ন্ত্রণ করে। গোপনীয়তার কারণে হ্যাকাররা বিচ্ছিন্ন বোধ করে। কিন্তু সুবিধাও পায়। আমরা জানি হ্যাকাররা গোপনীয়তার বিরোধিতা করে, তারা নিজেদের বিরোধিতা করে, তারা যে পদ্ধতি বা পদ্ধতিটি পরিচালনা করে তা কাজে লাগিয়ে, প্রযুক্তি এবং সমসাময়িক সংস্কৃতির সাথে তাদের অবস্থানকে জটিল করে তোলে। ডগলাস (২০০২:১১৫) ব্যাখ্যা করেন যে হ্যাকিংয়ের প্রাথমিক প্রজন্মে, ধারণা, তথ্য ভাগাভাগি করার পাশাপাশি প্রযুক্তি প্রাপ্যতাের জন্য সম্প্রদায়গুলোর উপর প্রচুর নির্ভর করা হত। ১৯৫০/৬০ এর দশকে, সম্প্রদায়গুলো এমআইটি, হার্ভার্ড, কর্নেল এবং আরও কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবগুলোকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছিল। <ref>Douglas, Thomas 2002 ''Hacking Culture''</ref>
টেলর আরও বলেন,"হ্যাকাররা এমন বাচ্চাদের মতো যারা রেললাইনে দশ পেন্সের টুকরো রেখে দেখে যে এটি বাঁকছে কিনা। কিন্তু তারা বুঝতে পারে না যে তারা পুরো ট্রেনটি রেলিং থেকে নামিয়ে দেওয়ার ঝুঁকি নিচ্ছে"। হ্যাকারদের কীভাবে উপস্থাপন করা হয় তা দেখার একটি ভালো উপায় হলো "মিস্টার রোবট"। এটি এমন একটি প্রোগ্রাম যেখানে একদল হ্যাকার একটি বহুজাতিক কর্পোরেশনকে আক্রমণ করে বিশ্বকে ঋণমুক্ত করতে বদ্ধপরিকর। টেলর (১৯৯৯) উল্লেখ করেছেন,ব্যবসায়িক নীতিশাস্ত্রের একটি গবেষণার সময়, এমন কিছু বিষয় উঠে এসেছে যা দেখায় যে শিল্পের মধ্যে নীতিগত সিদ্ধান্তগুলো আরও কঠিন এবং বয়স্ক জনগোষ্ঠীর কাছ থেকে আসার প্রবণতা রয়েছে। কম্পিউটার শিল্পের সদস্যরা সাধারণত সাধারণ হ্যাকারদের তুলনায় বয়স্ক হন এবং কম্পিউটারকে তাদের দৈনন্দিন জীবনের একটি হাতিয়ার হিসেবে দেখেন, অন্যদিকে হ্যাকাররা কম্পিউটারকে একটি শখ হিসেবে দেখেন। এই বয়সের পার্থক্য সম্ভবত একটি কারণ যার জন্য নিরাপত্তা শিল্প এবং গোপন কম্পিউটারের সদস্যদের নীতিগত দৃষ্টিভঙ্গিতে মৌলিক পার্থক্য রয়েছে।
==== 'অলিখিত আইন' ====
অনেক কম্পিউটার ভক্ত এমন একটি কাঠামো অনুসরণ করেন যাকে অনেকে হ্যাকারদের বাইবেল বলে। এটি এমন কিছু অলিখিত নিয়মে। তারা বিশ্বাস করে এভাবেই সফটওয়্যার লেখা এবং সরবরাহ করা উচিত। তারা সেই অনুযায়ী আরও উন্মুক্ত এবং উদার কিছু পরিবর্তন করতে চায়। এটি মূলত সফটওয়্যারের সহজলভ্যতা এবং এটি ব্যবহার করতে ইচ্ছুক সকলের কাছে এর সহজলভ্যতার সাথে সম্পর্কিত। সকল তথ্য বিনামূল্যে থাকা উচিত। কর্তৃপক্ষের উপর অবিশ্বাস করুন, বিকেন্দ্রীকরণকে উৎসাহিত করুন। দ্বিতীয়ত এই ধারণাটি উপস্থাপন করে যে, বিশ্বজুড়ে বা এমনকি বিভিন্ন দেশে একাধিক সার্ভার থাকা উচিত। সেগুলোতে একই তথ্য জমা থাকবে, যাতে অন্য কোনও সফটওয়্যার এবং/অথবা প্রোগ্রাম ব্যর্থ হলে আপনি সর্বদা প্রাপ্যতা পেতে পারেন। একাধিক সার্ভার থাকার ফলে বৃহত্তর শ্রোতা তৈরি হবে। এর ফলে প্রোগ্রামগুলোতে সবার প্রাপ্যতা থাকার পাশাপাশি কর্মক্ষমতাও উন্নত মানের হবে। হ্যাকারদের বিচার করা উচিত তাদের হ্যাকিং দিয়ে; কোনো ডিগ্রি, বয়স, জাতি বা পদের মতো ভুয়া মানদণ্ড দিয়ে নয়। আমি বিশ্বাস করি এটি বিশেষ করে আধুনিক যুগ এবং সমাজের সাথে গভীরভাবে সম্পর্কিত যেখানে জীবনের সকল ক্ষেত্রেই সমতার জন্য লড়াই অব্যাহত রয়েছে। বিশেষ করে আজকের ডিজিটাল জগতে এমন অনেক তরুণ আছেন যারা অসাধারণ কোডিং তৈরি করতে সক্ষম যা একটি IOS সিস্টেমের মধ্যে একত্রিত করা যেতে পারে। এগুলো বিভিন্ন মাল্টি মিডিয়ামে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে পারে। আপনি কম্পিউটারে শিল্প ও সৌন্দর্য তৈরি করতে পারেন। এটি কম্পিউটিং জগতের সকল মাত্রার জন্য দায়ী, তা ডিজিটাল শিল্প, প্রোগ্রামিং, চলচ্চিত্র নির্মাণ হোক... তালিকাটি অন্তহীন। বলা বাহুল্য, সবই শিল্পের উপাদান। এগুলোকে হালকাভাবে নেওয়া উচিত নয়। কম্পিউটার জীবনকে আরও ভালোর দিকে বদলে দেয়। প্রযুক্তি ক্রমাগত বিকশিত হচ্ছে এবং উন্নতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা এখন বধির এবং অন্ধদের জন্য এমন ব্যবস্থা তৈরি করতে সক্ষম হয়েছি যা মিথস্ক্রিয়া এবং যোগাযোগের পাশাপাশি আরও অনেক কিছুতে সহায়তা করে যা অসংখ্য ব্যক্তি এবং পরিবারকে সহায়তা করে।
== ক্রিয়েটিভ কমন্স বনাম কপিরাইট ==
=== ক্রিয়েটিভ কমন্স কী? ===
২০০১ সালে লরেন্স লেসিগ, হাল অ্যাবেলসন এবং এরিক ইল্ড্রেড অলাভজনক সংস্থা '''ক্রিয়েটিভ কমন্স (CC)''' প্রতিষ্ঠা করেন। এটি অন্যদের জন্য উপলব্ধ সৃজনশীল কাজ বাড়ানোর জন্য চেষ্টা করছে। এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা আইনগতভাবে ভিত্তি করে তৈরি করতে এবং অন্যদের সাথে ভাগ করতে পারেন। ক্রিয়েটিভ কমন্স লাইসেন্সগুলি জনসাধারণের জন্য বিনামূল্যে প্রকাশিত হয়। ক্রিয়েটিভ কমন্স সম্পর্কিত প্রথম নিবন্ধটি একটি সাধারণ আগ্রহের প্রকাশনায় হাল প্লপকিনের “All Hail ক্রিয়েটিভ কমন্স Stanford professor and author Lawrence Lessig plans a legal insurrection” (২০০২)-এ প্রকাশিত হয়। ২০০৪ সালের নভেম্বর পর্যন্ত প্রায় ৮৮০ মিলিয়ন কাজ ক্রিয়েটিভ কমন্স লাইসেন্সের আওতায় লাইসেন্সপ্রাপ্ত।<ref>[https://creativecommons.org/licenses] , About the Licenses – Creative Commons.</ref>
'''ক্রিয়েটিভ কমন্সের বিভিন্ন দিক'''
ক্রিয়েটিভ কমন্সের অনেক ধরণের আছে, যেগুলো আপনাকে বিভিন্ন উপায়ে একটি কাজ ব্যবহার করার সুযোগ দেয়। এটি ব্যক্তির লাইসেন্সের উপর নির্ভর করে। কারণ প্রতিটি কাজের সাথে আপনি কী করতে পারবেন এবং কী করতে পারবেন না তার নিয়ম রয়েছে। নিচে কয়েকটি তালিকাভুক্ত উদাহরণ দেওয়া হলো। মূলত স্কেল শর্তাবলী প্রদান করে, আপনি বিভিন্ন উপায়ে কিছু পুনঃব্যবহার করতে পারেন, সাধারণত এটি শর্তাবলীতে বর্ণিত থাকে। এটি ছোট মুদ্রণ নামেও পরিচিত।
'''পাবলিক ডোমেইন'''
পাবলিক ডোমেইন শব্দটি এমন সৃজনশীল উপকরণগুলোকে বোঝাতে ব্যবহৃত হয় যা সম্পত্তি আইন, কপিরাইট, ট্রেডমার্ক বা পেটেন্ট আইন দ্বারা সুরক্ষিত নয়। এই কাজগুলোর মালিক 'জনসাধারণ', কোনও একক ব্যক্তি নন। পাবলিক ডোমেইন উপকরণ ব্যবহারের জন্য অনুমতির প্রয়োজন নেই কারণ কেউ কখনও উপকরণের অধিকার দাবি করতে পারে না। <ref>[http://fairuse.stanford.edu/overview/public-domain/welcome/] , Copyright & Fair Use – Stanford University Libraries.</ref>
চারটি সাধারণ সম্ভাবনা রয়েছে যা উপকরণ বা পণ্যগুলোকে পাবলিক ডোমেইন করতে পারে: <ref>[http://fairuse.stanford.edu/overview/public-domain/welcome/] , Copyright & Fair Use – Stanford University Libraries (Extended).</ref>
* কপিরাইট মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে।
* কপিরাইট মালিক কপিরাইট নবায়ন নিয়মের পদ্ধতি সঠিকভাবে অনুসরণ করেননি।
* কপিরাইট মালিক ইচ্ছাকৃতভাবে একটি উপাদান বা পণ্য পাবলিক ডোমেইনে রাখেন।
* কপিরাইট আইন এই বিশেষ ধরণের উপাদানকে রক্ষা করতে পারে না।
কপিরাইট জনসাধারণের জন্য, যাতে তারা সফটওয়্যারটি ব্যবহার করতে পারে, কাজের অংশ... ইত্যাদি, যেমনটা তারা চায়। এর অর্থ হলো তারা এটি সম্পাদনা করতে এবং তাদের ইচ্ছামতো পুনরায় ব্যবহার করতে সক্ষম। এর একটি গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ হলো ওয়াল্ট ডিজনির মিকি মাউসের সৃষ্টি। মিকি মাউসের গ্রাফিক্স এবং ধারণাটি পাবলিক ডোমেইনে রয়েছে, অর্থাৎ বিবিসির মতো অন্যান্য সংস্থাগুলো যদি ইচ্ছা করে তবে এই ধারণাটি একটি স্কেচে ব্যবহার করতে পারে। এর মানে হলো, যদিও আমরা মিকি মাউসকে একটি কার্টুন শিশু ক্লাসিক হিসেবে যুক্ত করেছি, আমরা তাকে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের একটি স্কেচে দেখতে পাচ্ছি।
=== By ===
"By" আপনাকে একটি কাজকে আপনি যেভাবে চান তেমন করে পুনঃমিশ্রণ, সম্পাদনা এবং বিতরণ করার অনুমতি দেয়। তবে, আপনাকে বিবেচনা করতে হবে কাজটি কোথা থেকে এসেছে এবং মূল সৃষ্টিকারীর গুরুত্বকে স্বীকৃতি দিতে হবে।
'''অ্যাট্রিবিউশন'''
সিসি বাই অ্যাট্রিবিউশন — আপনাকে অবশ্যই যথাযথ কৃতিত্ব দিতে হবে, লাইসেন্সের একটি লিঙ্ক প্রদান করতে হবে, এবং কোনও পরিবর্তন করা হলে তা নির্দেশ করতে হবে। আপনি যে কোনও যুক্তিসঙ্গত পদ্ধতিতে তা করতে পারেন, কিন্তু এমন কোনও পদ্ধতিতে নয় যাতে মনে হয় লাইসেন্সকারী আপনাকে বা আপনার এই ব্যবহারের জন্য অনুমোদন দিয়েছেন। দেখুন: [[ccorg:licenses/by-sa/4.0/deed.bn|দলিল - অ্যাট্রিবিউশন-শেয়ার অ্যালাইক 4.0 আন্তর্জাতিক - ক্রিয়েটিভ কমন্স]]
'''অ্যাট্রিবিউশন-শেয়ারঅ্যালাইক'''
সিসি বাই-এসএ এই লাইসেন্সটি আপনাকে অ্যাট্রিবিউশন লাইসেন্সিংয়ের মতোই কাজ করার সুযোগ দেয়। তবে এটি কেবলমাত্র বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে সম্পন্ন করা হয় এবং তারা তাদের নতুন সৃষ্টিগুলোকে একই শর্তে স্বীকৃতি এবং লাইসেন্স দেয়। অ্যাট্রিবিউশন- শেয়ারঅ্যালাইককে প্রায়ই 'কপিলেফট' ফ্রি এবং ওপেন সফটওয়্যার লাইসেন্স বলা হয়। উইকিপিডিয়া এই ধরণের লাইসেন্স ব্যবহার করে।
'''অ্যাট্রিবিউশন-নো ডেরিভস'''
সিসি বাই-এনডি এই লাইসেন্সটি বাণিজ্যিক ও এবং অ-বাণিজ্যিক উভয় ক্ষেত্রেই পুনর্বণ্টনের সুযোগ দেয়, যতক্ষণ না এটি অপরিবর্তিত এবং সম্পূর্ণরূপে আপনার কৃতিত্বের সাথে সরবরাহ করা হয়। দেখুন: [[ccorg:licenses/by-nd/4.0/deed.bn|দলিল - অ্যাট্রিবিউশন-নো ডেরিভস 4.0 আন্তর্জাতিক - ক্রিয়েটিভ কমন্স]]
'''অ্যাট্রিবিউশন-অ-বাণিজ্যিক'''
সিসি বাই-এনসি অ্যাট্রিবিউশন-শেয়ারঅ্যালাইকের অনুরূপ.এই লাইসেন্সটি আপনাকে কাজ যোগ করতে, পরিবর্তন করতে এবং নির্মাণ করতে সক্ষম করে, তবে তা বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে গ্রহণযোগ্য নয়। নতুন সৃষ্টিকর্মকে আপনার পরিবর্তন সহ অ-বাণিজ্যিক উপাদান স্বীকার করতে হবে, তবে এটি একই লাইসেন্সের অধীনে হতে হবে না। দেখুন: [[ccorg:licenses/by-nc/4.0/deed.bn|দলিল - অ্যাট্রিবিউশন-অ-বাণিজ্যিক 4.0 আন্তর্জাতিক - ক্রিয়েটিভ কমন্স]]
'''অ্যাট্রিবিউশন-ননকমার্শিয়াল-শেয়ারঅ্যালাইক'''
সিসি বাই-এনসি-এসএ অ্যাট্রিবিউশন-ননকমার্শিয়ালের মতো মূল পার্থক্য হলো, আপনাকে একই শর্তে নতুন কাজের লাইসেন্স দিতে হবে। দেখুন: [[ccorg:licenses/by-nc-sa/4.0/deed.bn|দলিল - অ্যাট্রিবিউশন-অ-বাণিজ্যিক-শেয়ার অ্যালাইক 4.0 আন্তর্জাতিক - ক্রিয়েটিভ কমন্স]]
'''অ্যাট্রিবিউশন-ননকমার্শিয়াল-নোডেরিভস'''
সিসি বাই-এনসি-এনডি এই লাইসেন্সটি সবচেয়ে সীমাবদ্ধ। এটিব কেবল মূল লেখককে কৃতিত্ব দেওয়া সাপেক্ষে শুধুমাত্র অন্যদের আপনার কাজ ডাউনলোড করতে এবং অন্যদের সাথে শেয়ার করার অনুমতি দেয়। দেখুন: [[ccorg:licenses/by-nc-nd/4.0/deed.bn|দলিল - অ্যাট্রিবিউশন-অ-বাণিজ্যিক-নো ডেরিভস 4.0 আন্তর্জাতিক - ক্রিয়েটিভ কমন্স]]
'''প্রভাব'''
ব্রাউসার্ড ক্রিয়েটিভ কমন্সকে কপিলেফট আন্দোলনের অগ্রভাগে বলে বর্ণনা করেছেন। এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে "সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত" কপিরাইটের একটি বিকল্প প্রদান করার চেষ্টা করছে (২০০৭)। বিকল্পভাবে, ডেভিড বেরি ক্রিয়েটিভ কমন্সকে বুদ্ধিজীবী সম্পত্তির বিষয়টিতে আগ্রহ তৈরি করার জন্য এবং "তথ্য যুগে" "কমন্স" এর ভূমিকা পুনর্বিবেচনা করার জন্য কৃতিত্ব দেন, তিনি বলেন "ক্রিয়েটিভ কমন্সে এমন প্রতিষ্ঠানিক, ব্যবহারিক এবং আইনগত সহায়তা রয়েছে যা افراد এবং গোষ্ঠীগুলোকে সংস্কৃতি নিয়ে আরও স্বাধীনভাবে পরীক্ষাগুলো এবং যোগাযোগ করতে চায়।" (বেরি, ডি, ২০০৫)। লেস্টিগ, অন্যদিকে আধুনিক সংস্কৃতিকে ঐতিহ্যবাহী কনটেন্ট বিতরণকারীদের দ্বারা আধিপত্যে ছিল বলে বর্ণনা করেছেন, সাংস্কৃতিক পণ্য যেমন সঙ্গীত এবং সিনেমার উপর মনোপলি বজায় রাখতে বা বৃহত্তর করতে, তিনি বলেছেন "ক্রিয়েটিভ কমন্স এই বিধিনিষেধগুলোর বিকল্প দিতে পারে" (লেস্টিগ, ২০০৬)।
== ওপেন সোর্স এবং মালিকানাধীন সফটওয়্যারের উদাহরণ ==
=== ইউনিক্স এবং গ্নু ===
[http://www.unix.org/ ইউনিক্স] ১৯৬৯ সালে বেল ল্যাবসে তৈরি করা হয়েছিল এবং এটি কম্পিউটিং ইতিহাসের প্রাচীনতম অপারেটিং সিস্টেমগুলোর মধ্যে একটি। এটিই সেই ভিত্তি যার উপর Mac OS X নির্মিত। এটি অনেকগুলো ভিন্ন মেশিনে চালানো যেতে পারে, এবং ইউনিক্স কম্পিউটারগুলো নেটওয়ার্কগুলোতে একসাথে কাজ করতে পারে। ইউনিক্স ছিল একটি মালিকানাধীন সিস্টেম কারণ বেল ল্যাবস কপিরাইট সুরক্ষিত রেখেছিল যাতে এটি একটি বন্ধ সিস্টেম ছিল যা ভাগ করা যেত না। একটি সিস্টেমে কাজ করার জন্য ইউনিক্স কোডটি সোর্স কোড বই থেকে ম্যানুয়ালি প্রবেশ করতে হত। এটি আজ আমাদের কাছে অত্যন্ত অদক্ষ বলে মনে হয়।
ওপেন সোর্স নেটওয়ার্কের উন্নয়নে রিচার্ড স্টলম্যান ছিলেন মৌলিক ভূমিকা পালনকারী। তিনি ইউনিক্সকে আরও ভাগ করে নেওয়ার যোগ্য উন্মুক্ত সিস্টেমে রূপান্তর করতে চেয়েছিলেন। ১৯৮৪ সালে তিনি [http://www.fsf.org/ ফ্রি সফটওয়্যার ফাউন্ডেশন] (এফএসএফ) তৈরি করেন। এফএসএফ-এর মূল লক্ষ্য ছিল সফটওয়্যারকে আরও উন্মুক্ত এবং প্রাপ্যতাযোগ্য করে তোলা, ঠিক যেমন প্রাথমিক কম্পিউটিং বুদ্ধিমত্তা এবং বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার ভাগ করে নেওয়ার উপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। স্টলম্যান গ্নু ("গ্নু is not ইউনিক্স") আবিষ্কার করেন ইউনিক্সকে নতুনভাবে পুনর্নির্মাণ করে যাতে এটি উন্মুক্ত এবং ভাগ করে নেওয়া যায়, যাতে ব্যবহারকারীরা তাদের ইচ্ছামত কোডটি মানিয়ে নিতে এবং পরিবর্তন করতে পারে। গ্নু যে কোনও সিস্টেমে চলতে সক্ষম ছিল যা ইতিমধ্যেই ইউনিক্স সমর্থন করে। স্টলম্যান গ্নু-কে একটি নতুন সিস্টেমের অধীনে লাইসেন্স দিয়েছিলেন যার নাম জেনারেল পাবলিক লাইসেন্স (জিপিএল। এটি "কপিলেফট" নামেও পরিচিত) যাতে গ্নু-কে মালিকানাধীন সফটওয়্যারে পরিণত হতে না পারে।
=== লিনাক্সের সাফল্য ===
লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেম একটি ওপেন সোর্স প্রকল্পের একটি গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ যা ক্রমশ শক্তিশালী হচ্ছে। এই প্রকল্পের সহযোগিতার সম্ভাবনাগুলো নিজেই নেটওয়ার্কের শক্তির প্রতিনিধিত্ব করে। কারণ এর প্রাথমিক পর্যায়ে যখন খুব কম অবদানকারী অংশগ্রহণ করছিলেন তখনও তাদের সারা বিশ্বে পাওয়া যেত। এই ব্যবস্থার সাফল্যের পেছনে অনেকগুলো কারণ রয়েছে, যেমন সম্পত্তির অধিকারের প্রতি বিশেষ দৃষ্টিভঙ্গি যা এর লাইসেন্স গঠন করে। লিনাক্সের [[গ্নু জেনারেল পাবলিক লাইসেন্স|জেনারেল পাবলিক লাইসেন্স]] (জিপিএল) সিস্টেমের ক্রমাগত উন্নয়নকে এর উপর ভিত্তি করে তৈরি হিসেবে স্বীকৃতি দেয়, তবে এটি পুনর্বণ্টনের সময় এর উপর কোনও বিধিনিষেধ আরোপের সুযোগ দেয় না। এটি বার্কলে সফটওয়্যার ডিস্ট্রিবিউশন (বিএসডি) লাইসেন্সের একটি বিকল্প। এটি প্রোগ্রামারদের সিস্টেম উন্নত করার জন্য একই স্বাধীনতা প্রদান করে না।
লিনাক্সের সাফল্যের আরেকটি কারণ হলো প্রকল্পের জন্য অব্যাহত, ঐক্যবদ্ধ সমর্থন। এটি প্রকল্প নেতাদের দ্বারা গৃহীত সিদ্ধান্ত এবং নিয়ম প্রত্যাখ্যান করার ঝুঁকি সম্পর্কে বোঝার কারণে। যারা প্রস্তাবিত কোড পরিবর্তন গ্রহণ করতে ব্যর্থ হন, তাদের জন্য প্রাথমিক প্রকল্প থেকে আলাদা হয়ে তাদের পরিবর্তনগুলো বাস্তবায়িত করে একটি নতুন প্রকল্প স্থাপন করার সুযোগ রয়েছে, যাকে "ফর্কিং" বলা হয়। <ref>Weber, S. (2004). ''Success of Open Source.'' Cambridge: Harvard University Press, p.64</ref> যদিও কিছু ডেভেলপার এটিকে ওপেন সোর্স প্রোগ্রামিংয়ের একটি অপরিহার্য অধিকার হিসেবে দেখেন, তবুও এই প্রক্রিয়ায় ঝুঁকি রয়েছে। লিনাক্সের ক্ষেত্রে, প্রলিফিক ফর্কিং কর্মীদের বিভক্ত করার এবং সামগ্রিক উৎপাদনশীলতা হ্রাস করার ঝুঁকি বহন করে। অধিকন্তু, আরও প্রকল্পের সাথে সাথে একটি প্রকল্পে উল্লেখযোগ্য সমস্যা দেখা দেওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। এটি প্রতিটি প্রকল্পের উপর খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে, ফর্কিংয়ের মাধ্যমে উদ্ভূত প্রকল্প থেকে শুরু করে প্রাথমিক প্রকল্প পর্যন্ত। <ref>Weber, S. (2004). ''Success of Open Source.'' Cambridge: Harvard University Press, p.159</ref> দক্ষতা এবং উৎপাদনশীলতার এই ভাঙ্গনের ফলে বেশ কয়েকটি প্রকল্প, সম্ভবত সবগুলোই ব্যর্থ হতে পারে। লিনাক্সের দীর্ঘ জীবনকাল এবং অব্যাহত, দীর্ঘমেয়াদী সহযোগিতার সম্ভাবনা উপরে উল্লিখিত ঝুঁকিগুলোর জন্য ঝুঁকি নেওয়ার প্রবণতাকে নিরুৎসাহিত করে, তাই এটি এখনও পর্যন্ত এটির অভিজ্ঞতা লাভ করেনি। <ref>Weber, S. (2004). ''Success of Open Source.'' Cambridge: Harvard University Press, p.159</ref>
ওপেন সোর্স ফরম্যাটের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সুবিধা থেকে লিনাক্সও উপকৃত হয়। ঐতিহ্যবাহী মালিকানাধীন ব্যবস্থায়, প্রত্যেকের কাছ থেকে প্রায় সমান পরিমাণে কাজের অবদান আশা করা হয়। তবে ওপেন সোর্সে, অবদানকারীদের একটি ছোট শতাংশের জন্য কাজের একটি বড় অংশ সম্পাদন করা সাধারণ, এবং বিপুল সংখ্যক অপ্রাপ্তবয়স্ক অবদানকারীদের জন্য কেবল এক বা দুটি অবদান রাখা স্বাভাবিক। তবুও, জর্ডান যুক্তি দেন যে একটি ওপেন সোর্স প্রকল্পের প্রেক্ষাপটে, একজন ব্যক্তি এমন একটি কাজ সম্পন্ন করতে পারেন যা অন্যথায় সম্পন্ন নাও হতে পারে। যদি একজন ব্যক্তি মাত্র একটি অবদানের মাধ্যমেও গ্রুপ প্রকল্পের উন্নতি করেন, তাহলে সকলেই আরও ভালো পণ্য পেয়ে উপকৃত হবেন।
পরিসংখ্যান থেকে জানা যায় যে ইন্টারনেটের ৩৬.২% ওয়েবসাইট লিনাক্স ব্যবহার করে। এরিকের মতে, লিনাক্স একটি বিকেন্দ্রীভূত উন্নয়ন পদ্ধতি [http://www.fao.org/docs/up/easypol/342/decen_dev_in_agri_012en.pdf] গ্রহণ করেছে। "ক্যাথেড্রাল অ্যান্ড দ্য বাজার" এবং অনুরূপ কাজে এস রেমন্ডের পরীক্ষা। এই পদ্ধতির ফলে অবদানকারীরা একটি সংবেদনশীলহীন সাংগঠনিক কাঠামোর মধ্যে ক্রমাগত কাজ করতে সক্ষম হন। লিনাক্সের অপারেটিং সিস্টেমের বৈশিষ্ট্যগুলোও এর সাফল্য বিশ্লেষণ করার সময় বিবেচনা করার মতো আরেকটি সম্ভাব্য কারণ। লিনাক্স এবং ইউনিক্সের মতো অন্যান্য অপারেটিং সিস্টেমের মধ্যে প্রযুক্তিগত বৈপরীত্য রয়েছে যা লিনাক্সের সাফল্য নিয়ে আলোচনা করার সময় মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ। একটি নির্দিষ্ট উৎস অনুসারে, কার্নেলের গণিত কোপ্রসেসর ব্যবহার না করেই 387-FPU নির্দেশাবলী এবং সিস্টেম অনুকরণ করার ক্ষমতা রয়েছে এবং একাধিক প্রোগ্রাম চালানোর ক্ষমতা রয়েছে যার জন্য ফ্লোট-পয়েন্ট গণিত ক্ষমতার একটি স্তর প্রয়োজন। লিনাক্স ডেটা স্টোরেজের জন্য বিভিন্ন ফাইল সিস্টেম সমর্থন করে, এবং ext2 ফাইল সিস্টেমের মতো। এটি বিশেষভাবে লিনাক্সের জন্য তৈরি করা হয়েছিল।
=== অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস ===
==== অ্যান্ড্রয়েডের উন্নয়ন ====
[[চিত্র:Android_robot.png|থাম্ব| অ্যান্ড্রয়েড লোগো]]
২০০৭ সালের ৫ নভেম্বর তারিখে গুগলের মোবাইল ফোন অপারেটিং সিস্টেম [[Android(operating system)|অ্যান্ড্রয়েড]] সর্বজনীনভাবে আত্মপ্রকাশ করে। এর বিশ্বব্যাপী প্রবর্তন [[ওপেন হ্যান্ডসেট অ্যালায়েন্স|ওপেন হ্যান্ডসেট অ্যালায়েন্সের]] সৃষ্টি এবং প্রবর্তনের সাথেও সম্পর্কিত। কোম্পানিগুলোর একটি কনসোর্টিয়াম যারা তাদের পণ্যগুলোতে নতুন তৈরি অ্যান্ড্রয়েড সফটওয়্যার প্রয়োগ করে। কনসোর্টিয়ামটি জনসমক্ষে প্রকাশিত হওয়ার সময় এর ৩৪ সদস্যের তালিকায় টি-মোবাইল, [[স্যামসাং ইলেকট্রনিক্স]], [[এইচটিসি]] এবং [[সনি|সনির]] মতো কোম্পানিগুলো অন্তর্ভুক্ত ছিল। পরবর্তী বছরগুলোতে, [[তোশিবা]], এসার এবং [[ভোডাফোন|ভোডাফোনের]] মতো কোম্পানিগুলো যোগদানের সাথে সাথে সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। <ref>http://www.cnet.com/uk/news/googles-open-handset-alliance-gains-14-new-members/</ref> এই জোটটি ছিল গুগলের অ্যান্ড্রয়েডকে একটি উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যার হিসেবে বিকাশের সিদ্ধান্তের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপজাত।
রিচ মাইনার, [[অ্যান্ডি রুবিন]] এবং নিক সিয়ার্সকে সাধারণত অ্যান্ড্রয়েডের উদ্ভাবক হিসেবে কৃতিত্ব দেওয়া হয়। <ref>http://uk.businessinsider.com/how-android-was-created-2015-3?r=US&IR=T</ref> ২০০৫ সালে গুগল কর্তৃক কেনার আগে তারা একসাথে একটি ছোট কোম্পানি, Android.inc, হিসেবে অ্যান্ড্রয়েডে কাজ করেছিল। তাদের অধিগ্রহণের পর উপলব্ধ তহবিল বৃদ্ধি এবং প্রচুর নতুন সম্পদের আধিক্য উন্নয়ন প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে। দুই বছর পর প্রথম সর্বজনীনভাবে উপলব্ধ অ্যান্ড্রয়েড সফটওয়্যার তৈরি করা হয়। গুগল মূলত অ্যাপলের আইওএস-এর উন্নয়নের বিরোধিতা করে অপারেটিং সিস্টেমটি তৈরি করেছিল। ২০১০ সালে গুগলের আই/ও সম্মেলনের মূল বক্তৃতায়, গুগলের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট সোশ্যাল ভিক গুন্ডোত্রা দাবি করেছিলেন, "আমরা যদি পদক্ষেপ না নিই, তাহলে আমরা এক ভয়াবহ ভবিষ্যতের মুখোমুখি হব যেখানে একজন মানুষ, একজন ফোন, একজন ক্যারিয়ারই হবে ভবিষ্যৎ। এমন একটি ভবিষ্যৎ আমরা চাই না।" <ref>http://www.theatlantic.com/technology/archive/2013/12/the-day-google-had-to-start-over-on-android/282479/</ref>
অ্যান্ড্রয়েড প্রকাশের প্রায় এক বছর আগে, [[স্টিভ জবস]] ৯ জানুয়ারি, ২০০৭ তারিখে অ্যাপল আইফোন চালু করেছিলেন। গুগলের ভেতরে এই ঘোষণার প্রতিক্রিয়া ছিল অবাক করার মতো। গুগলের একজন কর্মচারী, ক্রিস ডিসালভো মন্তব্য করেছেন;<div align="center">
'''"একজন ভোক্তা হিসেবে আমি অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। আমি তাৎক্ষণিকভাবে একটি চাইছিলাম। কিন্তু একজন গুগল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে, আমি ভেবেছিলাম 'আমাদের নতুন করে শুরু করতে হবে। নব্বইয়ের দশকে আমরা যা হঠাৎ করে দেখেছিলাম তা এমন একটি জিনিস যা দেখলেই স্পষ্ট হয়ে ওঠে।"'''
</div>এই ঘোষণা অনুসারে অ্যান্ড্রয়েড ইঞ্জিনিয়ারদের দ্বারা তাড়াতাড়ি কিছু পরিবর্তন করা হয়। বিশেষ করে তাদের পণ্যে 'টাচস্ক্রিন' যুক্ত করা হয়। যদিও অ্যাপলের ঘোষণা অ্যান্ড্রয়ের আগে এসেছিল। এটি তাদের বাজারে সাময়িকভাবে লাভবান করতে সুবিধা দিয়েছিল। বিষয়টি অ্যান্ড্রয়েরডের একটি সুবিধাজনক অবস্থান হিসেবে দেখা হয়। কারণ এর ফলেঅ্যাপল কী মিস করেছে তা অ্যান্ড্রয়েরডের ইঞ্জিনিয়ারদেরকে দেখার সুযোগকরে দেয়।
অ্যান্ড্রয়েড ওপেন সোর্স সফটওয়্যার লিনাক্সের উপর ভিত্তি করে তৈরি। ফলে এর সোর্স কোড সকলের জন্য প্রাপ্যতাযোগ্য করে তোলে, অ্যান্ড্রয়েডের লিনাক্স পিসিতে আমরা যে লিনাক্স ব্যবহার করি তার থেকে ভিন্নভাবে কাজ করে। পিসির মতো অ্যান্ড্রয়েড লিনাক্স কার্নেল সংস্করণের একটি পরিবর্তিত সংস্করণ ব্যবহার করে।তবে একই সংস্করণ নয়। অ্যান্ড্রয়েডের জন্য লিনাক্স স্মার্টফোনের কথা মাথায় রেখে ডিজাইন করা হয়েছে ।তাই মূল কার্নেলে অন্যান্য সমন্বয়ের সাথে টাচ-স্ক্রিন প্রোগ্রামিং যোগ করা হয়েছে। নিচে কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপাদানের তালিকা দেওয়া হলো।
* অ্যালার্ম ড্রাইভার: ডিভাইসগুলোকে ঘুম থেকে জাগানোর জন্য টাইমার সরবরাহ করে
* Ashmem: অ্যাপ্লিকেশনগুলোকে মেমরি ভাগ করে নেওয়ার সুযোগ দেয় এবং কার্নেল স্তরে ভাগ করে নেওয়ার ব্যবস্থা করে।
* বাইন্ডার ড্রাইভার: আন্তঃ-প্রক্রিয়া যোগাযোগ সহজতর করে কারণ শেয়ার্ড মেমোরি ব্যবহারের মাধ্যমে একাধিক অ্যাপ্লিকেশন দ্বারা ডেটা ভাগ করা যায়। IPC হিসেবে নিবন্ধিত একটি পরিষেবা
পরিষেবা প্রদানকারীদের বিভিন্ন থ্রেড নিয়ে চিন্তা করতে হবে না কারণ বাইন্ডার সেগুলো পরিচালনা, পর্যবেক্ষণ এবং পরিচালনা করবে। বাইন্ডার প্রক্রিয়াগুলোর মধ্যে সিঙ্ক্রোনাইজেশনেরও যত্ন নেয়।
* পাওয়ার ম্যানেজমেন্ট: স্ট্যান্ডার্ড লিনাক্স পাওয়ার ম্যানেজমেন্ট (PM) এর উপরে তৈরি এবং
বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনা এবং সাশ্রয়ের জন্য আরও আক্রমণাত্মক নীতি গ্রহণ করুন। <ref>http://www.handycodeworks.com/wp-content/uploads/2011/02/linux_versus_android.pdf</ref>
গুগল কেন অ্যান্ড্রয়েডকে একটি ওপেন সোর্স অপারেটিং সিস্টেম বানিয়েছে তা বিতর্কের বিষয়। বিরোধীরা যুক্তি দেন যে সিদ্ধান্তটি মূলত আর্থিক ভিত্তিক ছিল। ওপেন সোর্স প্রযুক্তির লাভ-ভিত্তিক একাধিক সুবিধা রয়েছে। এটি মূলত সিস্টেমের ব্যাপক জনপ্রিয়তার কারণে। এটি গুগলের নাগাল আরও বাড়িয়ে তোলে এবং তাদের ভোক্তা জনসংখ্যার পরিধি প্রসারিত করে। তবে তাদের ওয়েবসাইটে, অ্যান্ড্রয়েড ব্যাখ্যা করেছে কেন তারা একটি ওপেন সোর্স সিস্টেম ব্যবহার করে;
'''"অ্যান্ড্রয়েডের প্রাথমিক উদ্দেশ্য হলো ক্যারিয়ার, ওইএম এবং ডেভেলপারদের জন্য একটি উন্মুক্ত সফটওয়্যার প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা যাতে তারা তাদের উদ্ভাবনী ধারণাগুলোকে বাস্তবে রূপ দিতে পারে এবং একটি সফল, বাস্তব-বিশ্বের পণ্য প্রবর্তন করতে পারে যা ব্যবহারকারীদের জন্য মোবাইল অভিজ্ঞতা উন্নত করে। আমরা আরও নিশ্চিত করতে চেয়েছিলাম যে ব্যর্থতার কোনও কেন্দ্রীয় বিন্দু নেই, যেখানে একজন শিল্প খেলোয়াড় অন্য কারও উদ্ভাবনকে সীমাবদ্ধ বা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।"''' <ref>https://source.android.com/source/</ref>
==== আইওএসের উন্নয়ন ====
[[চিত্র:Steve_Jobs_presents_iPhone.jpg|থাম্ব| স্টিভ জবস আইফোন উপস্থাপন করছেন]]
অ্যাপলের মোবাইল ফোন অপারেটিং সিস্টেম, [[আইওএস]]। এটি পূর্বে ওএস নামে পরিচিত ছিল, ৯ জানুয়ারি, ২০০৭ সালে আইফোন প্রবর্তনের মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ করে। প্রথম আইফোনগুলো সেই গ্রীষ্মের পরে বিক্রি শুরু হবে। আইওএসের নকশা অ্যাপল ম্যাকিনটোশের অপারেটিং সিস্টেম ওএস এক্স-এর উপর ভিত্তি করে তৈরি। স্টিভ জবস কর্তৃক আইপড প্রোগ্রামিং এবং ম্যাকিনটোশ প্রোগ্রামিংয়ের মধ্যে একটি প্রতিযোগিতার পর এই সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে ম্যাকিনটোশ ভিত্তিক একটি সিস্টেমই সবচেয়ে উপযুক্ত। ম্যাকিনটোশ দলের নেতৃত্বে ছিলেনস্কট ফরস্টল। তাকে অ্যাপ স্টোর তৈরি এবং বিকাশের জন্য কৃতিত্ব দেওয়া হয়। <ref>http://www.bloomberg.com/news/articles/2011-10-12/scott-forstall-the-sorcerers-apprentice-at-apple</ref>
আইওএস একটি মালিকানাধীন অপারেটিং সিস্টেম এবং তাই এর সোর্স কোড প্রাপ্যতাযোগ্য বা পরিবর্তনযোগ্য নয়। অ্যাপলই একমাত্র কোম্পানি যার পণ্যে আইওএস ব্যবহারের সুযোগ এবং বৈধতা রয়েছে। অপারেটিং সিস্টেম পরিবর্তনের ক্ষেত্রে ব্যবহারকারীদের সীমিত প্রাপ্যতাের কারণে, জেলব্রেকিংয়ের প্রক্রিয়াটি জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে অ্যান্ড্রয়েডের মতো অপারেটিং সিস্টেমে বিরোধী সফটওয়্যারের উপাদান রয়েছে, এই ক্ষেত্রে ওপেন সোর্স। এমন দাবি করা হয়েছে যে স্টিভ জবস আসলে ওপেন সোর্সের একজন পথিকৃৎ ছিলেন। আইওএস-ভিত্তিক ম্যাক অপারেটিং সিস্টেমটি নিজেই ডারউইনের ওপেন সোর্স সফটওয়্যারের উপর ভিত্তি করে তৈরি। ডারউইন ২০০৩ সালে অ্যাপল দ্বারা একটি বিনামূল্যের এবং ওপেন সোর্স সফটওয়্যার লাইসেন্সের অধীনে প্রকাশিত হয়েছিল। অধিকন্তু, স্টিভ জবস দাবি করেছেন যে অ্যান্ড্রয়েড "আসলে তেমন খোলা নয়" তিনি উল্লেখ করেছেন যে কিছু মোবাইল ডিভাইস কোম্পানি যেমন এইচটিসি তাদের ইন্টারফেসে মালিকানাধীন সফটওয়্যার ব্যবহার করেছে। তিনি এতে অসন্তোষ প্রকাশ করেন কারণ এর ফলে ব্যবহারকারীদের নিজেরাই এটি সমাধান করতে হয়। এটিকে অ্যাপল মালিকানাধীন সফটওয়্যার বাস্তবায়নের অন্যতম কারণ হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে; ডিভাইসের ব্যবহারকারী-বান্ধবতা উন্নত করার জন্য।
অ্যান্ড্রয়েডের মতোই, যুক্তি দেওয়া হয় যে এই সিদ্ধান্তটি মূলত আর্থিক ভিত্তিক ছিল। সফটওয়্যারটির কপিরাইট করার মাধ্যমে তারা অন্যান্য কোম্পানিগুলোকে এটি ব্যবহার থেকে বিরত রাখে, তাই যারা ইন্টারফেসটি উপভোগ করেছেন তাদের অ্যাপল পণ্য কিনতে হবে। অ্যাপল স্বীকার করেছে যে অনলাইন সম্প্রদায়ের মধ্যে, বিশেষ করে হ্যাকার সম্প্রদায়ের মধ্যে, প্রোপ্রাইটারিকে অবজ্ঞা করা হয়, তাই তারা টাচস্ক্রিন এবং হোম বোতামের মতো নির্দিষ্ট উদ্ভাবনী বৈশিষ্ট্যগুলোর উপর IOS প্রকাশের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করেছে। মালিকানাধীন সমালোচকরা যুক্তি দেন যে ওপেন সোর্স সফটওয়্যার অ্যাপলের জন্য অনিবার্য। <ref>http://www.wired.com/2015/06/open-sourcing-no-longer-optional-not-even-apple/</ref> তাদের যুক্তি হলো, অ্যাপল যদি প্রতিটি নতুন সংস্করণের সাথে মালিকানার মাত্রা বৃদ্ধি করতে থাকে, তাহলে তারা তাদের জনপ্রিয় অ্যাপ্লিকেশনগুলোর বেশিরভাগের জন্য নির্ভরশীল ডেভেলপারদের বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার ঝুঁকিতে পড়বে। মাইক্রোসফটের লিনাক্সের সাম্প্রতিক গ্রহণযোগ্যতা অ্যাপলের উপর আরও চাপ সৃষ্টি করেছে কারণ মাইক্রোসফটের মালিকানাধীন সফটওয়্যারের সাথে দীর্ঘদিনের মৌলিক সম্পর্ক রয়েছে।
==== বিতর্কের ভূমিকা ====
বিপরীত অপারেটিং সিস্টেমগুলোকে ঘিরে বিতর্কের ব্যবহারিক এবং আদর্শিক উভয় দিক থেকেই গুরুত্ব রয়েছে। ব্যবহারিকতার বিষয়গুলো অনলাইন ফোরামগুলোতে প্রাধান্য পায় এবং প্রায়ই উভয়ের মধ্যে তুলনা করা হয়। ব্যবহারকারী-বান্ধবতা, গোপনীয়তা, নিরাপত্তা, কাস্টমাইজেবিলিটি এবং অ্যাপ্লিকেশনগুলো সরাসরি অপারেটিং সিস্টেমের প্রকৃতি দ্বারা প্রভাবিত হয়, তা মালিকানাধীন হোক বা ওপেন সোর্স। সাধারণ জনগণের কাছে এগুলো বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে হয়। কিন্তু কিছু মানুষের কাছে, বিশেষ করে হ্যাকার সম্প্রদায় এবং ইন্টারনেট কর্মীদের মধ্যে যারা আছেন তাদের কাছে, বিপরীত অপারেটিং সিস্টেমগুলো বিপরীত মতাদর্শের প্রতিনিধিত্ব করে। অ্যান্ড্রয়েডকে 'জনস্বার্থ' হিসেবে দেখা হয়, যেখানে আইওএস 'মানুষের স্বার্থের' প্রতিনিধিত্ব করে। মাইক্রোসফটের গবেষণা সমাজবিজ্ঞানী মার্ক এ. স্মিথ ব্যাখ্যা করেছেন কিভাবে এই দুটির মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখার প্রয়োজন। তিনি "মুক্ত রাইডার" ধারণাটি বর্ণনা করেছেন যারা জনসাধারণের কল্যাণে অবদান না রেখেই তা ব্যবহার করে। এই ধারণাটি বেশিরভাগ অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীদের জন্য প্রযোজ্য হবে যারা সোর্স কোড প্রাপ্যতা বা পরিবর্তন করেন না।
বিরোধী মতাদর্শের পাশাপাশি এটি বিরোধী [[বিবর্তন|বিবর্তনীয় ব্যাখ্যার]] প্রতিনিধিত্ব করে। এমন ধারণা রয়েছে যে প্রতিযোগিতাই ছিল বিবর্তনের একমাত্র চালিকা শক্তি। এটি আইওএস এবং মালিকানাধীন সফটওয়্যারকে সমাজের জন্য সাধারণত উপকারী হিসাবে ব্যাখ্যা করবে। এর বিরোধিতা করা হয় এই দাবির মাধ্যমে যে সহযোগিতা বিবর্তনের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক এবং বর্ধিত প্রাণীজগতেও এটি প্রতিনিধিত্ব করে। <ref>Rheingold, H. (2003). Smart mobs. Cambridge, MA: Perseus Pub. pg39</ref> লিনাক্সকে বর্ণনা করা হয়েছে, "ডেভেলপারদের দ্বারা প্রবর্তিত মিউটেশনের উপর এক ধরণের দ্রুত ডারউইনীয় নির্বাচন তৈরি করা।" "
অনেক দিক থেকেই অপারেটিং সিস্টেমের স্পষ্ট উল্লেখ ছাড়াই জনপ্রিয় বিতর্কটি ঘটেছে। দুটি সর্বাধিক জনপ্রিয় অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে তারা তাদের নিজস্ব ফ্যান ওয়েবসাইট এবং মিটআপের মাধ্যমে উৎসাহী ভক্তদের আকর্ষণ করেছে। সিস্টেমগুলো গুগল এবং অ্যাপলের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্বদের, যেমন স্টিভ জবসের সাথে সেলিব্রিটির লড়াইয়ে প্রবেশ করেছে, অপারেটিং সিস্টেমের চেয়ে বেশি বিখ্যাত হয়ে উঠেছে। নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক এরিক রোবেলস-অ্যান্ডারসন এবং অন্যান্যরা অ্যাপলকে একটি ' ধর্ম-সংস্কৃতি ' হিসেবে বর্ণনা করেছেন। <ref>http://www.techinsider.io/nyu-professor-says-apple-is-a-cult-2015-9</ref> এটিই ছিল 'ম্যাকহেডস' তথ্যচিত্রের ভিত্তি। অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস-এর এখন বিশাল সংখ্যক প্রতিষ্ঠিত ভক্ত রয়েছে যারা তাদের নিজ নিজ অপারেটিং সিস্টেমের প্রতি অনুগত এবং একে অপরের পণ্য কিনবে না <ref>http://www.telegraph.co.uk/technology/apple/10632787/iPhone-owners-admit-having-blind-loyalty-to-Apple.html</ref>
==== অ্যান্ড্রয়েডের সুবিধা এবং সমালোচনা ====
'''প্রাপ্যতা এবং সামঞ্জস্য'''
ব্যবহারকারীদের কাছে এর বিশাল প্রাপ্যতার জন্য অ্যান্ড্রয়েড ধারাবাহিকভাবে প্রশংসিত হয়। এটি এর ওপেন সোর্স বৈশিষ্ট্যের প্রত্যক্ষ ফলাফল। অনেক কোম্পানি তাদের পণ্যে অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহার করে। এর ফলে গ্রাহকরা আইওএস পরিচালিত পণ্যের তুলনায় ফোন এবং ট্যাবলেটের একটি উল্লেখযোগ্য বিস্তৃত নির্বাচন থেকে পছন্দ করতে পারেন। বিপুল সংখ্যক অ্যান্ড্রয়েড প্রস্তুত ডিভাইসের কারণে পরবর্তীতে অ্যান্ড্রয়েড ৮০% এরও বেশি শেয়ার নিয়ে বাজারে আধিপত্য বিস্তার করতে সক্ষম হয়েছে। <ref>http://www.idc.com/prodserv/smartphone-os-market-share.jsp</ref> এটি সাধারণত (অ্যাপাচি সফটওয়্যার লাইসেন্স ২.০ (এপিএল২.০), একটি বিনামূল্যের সফটওয়্যার লাইসেন্সের অধীনে পরিচালিত লাইসেন্সের কারণে, নির্মাতারা তাদের নিজস্ব স্পেসিফিকেশন অনুসারে সোর্স কোড পরিবর্তন করতে পারে। <ref>http://www.idc.com/prodserv/smartphone-os-market-share.jsp</ref> এইভাবে অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীরা নির্মাতার উপর নির্ভর করে ভিন্ন অভিজ্ঞতা পেতে পারেন। এটি বৈচিত্র্য এবং পছন্দ বৃদ্ধির কারণে উপকারী বলে মনে করা হয়, তবে বিভিন্ন অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং ডিভাইসের মধ্যে মানের বৈষম্যের জন্য এটি সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছে।
'''কাস্টমাইজেবিলিটি'''
অ্যান্ড্রয়েডে, কাস্টমাইজেশনকে প্রকাশ্যে উৎসাহিত করা হয় এবং তাই এটি অনেক হ্যাকারের কার্যত পছন্দ। কাস্টমাইজেশনের এই সুযোগটি ব্যাপক, যেখানে ব্যবহারকারীরা আরও জটিল কাজ করতে পারবেন, যেমন সোর্স কোডে অবদান রাখা এবং প্রচলিত কাস্টমাইজেশনের ত্রুটিগুলো সনাক্ত করা, যেমন টোয়াইলাইট এবং এয়ারড্রয়েডের মতো অ্যাপ ইনস্টল করা এবং অ্যাপ আইকন পরিবর্তন করা। সোর্স কোডটি উপলব্ধ এবং ব্যবহারকারীদের ইচ্ছানুযায়ী ব্যবহার করার জন্য প্রস্তুত। কাস্টমাইজেশনের সাথে এর ইতিবাচক প্রভাবের দুটি ধারণা রয়েছে; অভ্যন্তরীণ এবং বাহ্যিক। অভ্যন্তরীণ বলতে ব্যবহারকারীর নিজস্ব কাস্টমাইজেশন সম্পাদনের মাধ্যমে অর্জিত সন্তুষ্টি বোঝায়, অন্যদিকে বহির্মুখী বলতে কাস্টমাইজেশনের ফলে হওয়া উন্নতির মাধ্যমে ব্যবহারকারীর সন্তুষ্টি বোঝায় ঠিক যেমন আপনি অ্যাপ ডিজাইন করতে এবং [[গুগল প্লে|গুগল প্লে স্টোরে]] অফার করতে সক্ষম হন, আপনি স্টোরের সোর্স কোডও পরিবর্তন করতে পারেন। এই উন্মুক্ততার ফলে অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ ডাউনলোডের সংখ্যা আইওএস-এর চেয়ে বেশি হয়ে গেছে, যদিও এটি অ্যান্ড্রয়েড এবং অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ ডেভেলপারদের উপর একটি বড় নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে: রাজস্ব হ্রাস। গুগল প্লে অ্যাপলের [[App store (IOS)|অ্যাপ স্টোরের তুলনায় ৭০% কম আয় করে।]]
'''ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা'''
অ্যান্ড্রয়েডের সাথে সঠিক ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা নির্মাতাদের মূল সোর্স কোডের পরিবর্তনের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হয়, যদিও প্রযুক্তি সম্প্রদায়ে সাধারণীকরণ করা যেতে পারে এবং করা হয়েছে। অ্যান্ড্রয়েডের খ্যাতি আইওএসের মতো 'পরিষ্কার' না হওয়া এবং 'খাটো' হওয়ার জন্য ওপেন সোর্স উৎসের কারণে, এর নকশাটি তার প্রতিযোগীর মতো পরিশীলিত বলে বিবেচিত হয় না এবং 'কার্টুনিশ' হওয়ার জন্য আরও সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছে। অন্যান্য অপারেটিং সিস্টেমের সাথে অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতার তুলনা করে করা একটি জরিপে দেখা গেছে যে এটি IOS এর তুলনায় কম স্কোর করেছে (৫৭.২৫ থেকে ৭৩.২৫) ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো প্রাথমিকভাবে ব্যবহারের সহজতা, বিশেষ করে একজন অ-প্রযুক্তিগত ব্যবহারকারীর জন্য। আরেকটি জরিপে দেখা গেছে যে অ্যান্ড্রয়েডের জ্ঞানীয় লোড সবচেয়ে বেশি, সংশ্লিষ্ট IOS এর তুলনায় চার গুণ বেশি। ধারণা করা হচ্ছে,অ্যান্ড্রয়েড স্বাভাবিকভাবে ব্যবহার করতে আইওএসের তুলনায় বেশি সময় নেয়।
'''গোপনীয়তা'''
অ্যান্ড্রয়েড বিজ্ঞাপন লাইব্রেরিগুলোর উপর গবেষণায় দেখা গেছে যে বিজ্ঞাপনগুলো ব্যবহারকারীর অবস্থান, পরিচিতি, ফোন নম্বর সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহ করতে পারে এবং এমনকি ক্যামেরা এবং মাইক্রোফোনেও প্রাপ্যতা পেতে পারে এটি বিজ্ঞাপনগুলোকে সংগৃহীত তথ্যের উপর ভিত্তি করে তাদের ব্যবহারকারীকে আরও ভালভাবে লক্ষ্য করতে দেয়। যখন কোনও বিজ্ঞাপন আপনার নাম, ঠিকানা এবং সহযোগীদেরও শনাক্ত করতে সক্ষম হয়, তখন এটি আরও গুরুতর গোপনীয়তার সমস্যা হয়ে উঠতে পারে। এটি অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস প্ল্যাটফর্মের জন্য একটি সমস্যা। দেখা গেছে যে গ্রাহকরা প্রায়ই ডিফল্ট গোপনীয়তা বিকল্পগুলোতে সম্মতি জানান। এর ফলে গোপনীয়তা কর্মীরা 'অপ্ট ইন' বৈশিষ্ট্যের জন্য প্রচারণা চালাচ্ছেন, যেমনটি ইইউতে দেখা যায়। এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা একটি বিজ্ঞাপনের প্রাপ্যতা সম্পর্কে আরও স্বচ্ছ ধারণা দিচ্ছেন। যদিও অ্যাপের গোপনীয়তার স্পেসিফিকেশনের জন্য অ্যান্ড্রয়েড সমালোচিত হয়েছে, তবুও অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস উভয়কেই এই আইনগুলো মেনে চলতে হবে। এটি ব্যবহারকারীকে অ্যাপের গোপনীয়তা চুক্তি গ্রহণ বা প্রত্যাখ্যান করার সুযোগ দেয় কিন্তু পরবর্তী সময়ে এতে কোনও পরিবর্তন আনে না। বিপরীতে, IOS ব্যবহারকারীকে গোপনীয়তা চুক্তি গ্রহণের পরে একটি অ্যাপের নির্দিষ্ট প্রাপ্যতা নিষ্ক্রিয় করার সুযোগ দেয়, যেমন ক্যামেরা প্রাপ্যতা নিষ্ক্রিয় করা।
'''ওয়েব ব্রাউজার'''
অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীকে তাদের পছন্দের ডিফল্ট ওয়েব ব্রাউজার নির্ধারণ করতে দেয়। এটি গুগল প্লে স্টোর থেকে একটি তৃতীয় পক্ষের অ্যাপ অধিগ্রহণের মাধ্যমে করা হয় তবে অ্যান্ড্রয়েডের অ্যাপল-বিকশিত ব্রাউজার [[সাফারি (ওয়েব ব্রাউজার)|সাফারিতে]] প্রাপ্যতা নেই; আইওএসের তুলনায় ব্যবহারকারীদের তাদের পছন্দের ব্রাউজারটি সম্পূর্ণরূপে পরিবর্তন করার সুযোগ দেওয়ার জন্য অ্যান্ড্রয়েড প্রশংসিত হয়েছে, যেখানে সাফারি অন্তর্নির্মিত এবং আনইনস্টল করা যায় না।
'''প্রাপ্যতা এবং সামঞ্জস্য'''
IOS উপলব্ধ এবং শুধুমাত্র Apple পণ্যের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এই বৈশিষ্ট্যটি সমালোচিত হয়েছে কারণ এর অর্থ হলো অ্যাপ স্টোর এবং গুগল প্লে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়, তাই ব্যবহারকারীরা অ্যাপগুলোতে একই স্তরের প্রাপ্যতা পান না। যদিও অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম ওপেন সোর্স, গুগল প্লে নয়। শুধুমাত্র অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীরা এটি ব্যবহার করতে পারবেন। আইওএসের বাজার শেয়ার ১৩.৯। % <ref>http://www.idc.com/prodserv/smartphone-os-market-share.jsp</ref> মানে IOS ব্যবহারকারীরা সংখ্যালঘু।
'''কাস্টমাইজেবিলিটি'''
IOS সোর্স কোড কোনওভাবেই ব্যবহারকারীর জন্য কাস্টমাইজযোগ্য নয়। এটি অনেককে ক্ষুব্ধ করেছে এবং জেলব্রেকিংয়ের এখন সাধারণ এবং আইনত অস্পষ্ট প্রথার দিকে পরিচালিত করেছে। এই অনুশীলনের মধ্যে রয়েছে [[ডিজিটাল অধিকার ব্যবস্থাপনা|ডিজিটাল রাইটস ম্যানেজমেন্ট (DRM)]] বিধিনিষেধ উপেক্ষা করা এবং সফটওয়্যার পরিবর্তন করা। এটি মূলত "একটি পরিবর্তিত কার্নেল প্যাচ সেট (কার্নেল অপারেটিং সিস্টেমের তত্ত্বাবধায়ক) ইনস্টল করার প্রক্রিয়া যা আপনাকে স্বাক্ষরবিহীন কোড চালানোর সুযোগ দেয়" হিসাবে ভাবা যেতে পারে। অ্যাপল উন্নত আপডেটের মাধ্যমে জেলব্রেকিং সীমিত করার চেষ্টা করেছে। অ্যাপলের সাপোর্ট পেজে জেলব্রেকিংয়ের অসুবিধাগুলো ব্যাখ্যা করা হয়েছে;
* নিরাপত্তা দুর্বলতা: আপনার ডিভাইস জেলব্রেক করলে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য এবং আপনার iOS ডিভাইস সুরক্ষিত রাখার জন্য তৈরি নিরাপত্তা স্তরগুলো দূর হয়ে যায়। আপনার iOS ডিভাইস থেকে এই নিরাপত্তা ব্যবস্থা সরিয়ে ফেলা হলে, হ্যাকাররা আপনার ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করতে পারে, আপনার ডিভাইসের ক্ষতি করতে পারে, আপনার নেটওয়ার্ক আক্রমণ করতে পারে, অথবা ম্যালওয়্যার, স্পাইওয়্যার বা ভাইরাস প্রবেশ করাতে পারে।
* অস্থিরতা: ডিভাইসের ঘন ঘন এবং অপ্রত্যাশিত ক্র্যাশ, বিল্ট-ইন অ্যাপ এবং থার্ড-পার্টি অ্যাপের ক্র্যাশ এবং ফ্রিজ, এবং ডেটা হারানো।
* ব্যাটারির আয়ু কমে গেছে: হ্যাক করা সফটওয়্যারটির কারণে ব্যাটারি দ্রুত শেষ হয়ে গেছে। এটি একবার ব্যাটারি চার্জ করলেই আইফোন, আইপ্যাড বা আইপড টাচের কাজকর্ম কমিয়ে দেয়।
* অবিশ্বস্ত ভয়েস এবং ডেটা: কল বন্ধ, ধীর বা অবিশ্বস্ত ডেটা সংযোগ, এবং বিলম্বিত বা ভুল অবস্থান ডেটা।
* পরিষেবার ব্যাঘাত: ভিজ্যুয়াল ভয়েসমেইল, আবহাওয়া এবং স্টকের মতো পরিষেবাগুলো ডিভাইসে ব্যাহত হয়েছে অথবা আর কাজ করছে না। এছাড়াও, অ্যাপল পুশ নোটিফিকেশন সার্ভিস ব্যবহারকারী তৃতীয় পক্ষের অ্যাপগুলোর বিজ্ঞপ্তি পেতে অসুবিধা হয়েছে অথবা এমন বিজ্ঞপ্তি পেয়েছে যা অন্য কোনও হ্যাক করা ডিভাইসের জন্য তৈরি। [[আইক্লাউড|iCloud]] এবং Exchange-এর মতো অন্যান্য পুশ-ভিত্তিক পরিষেবাগুলো তাদের নিজ নিজ সার্ভারের সাথে ডেটা সিঙ্ক্রোনাইজ করতে সমস্যায় পড়েছে।
* ভবিষ্যতে সফটওয়্যার আপডেট প্রয়োগ করতে অক্ষমতা: কিছু অননুমোদিত পরিবর্তন iOS-এর এমন ক্ষতি করেছে যা মেরামতযোগ্য নয়। এর ফলে ভবিষ্যতে অ্যাপল-সরবরাহকৃত iOS আপডেট ইনস্টল করার সময় হ্যাক হওয়া আইফোন, আইপ্যাড, বা আইপড টাচ স্থায়ীভাবে অকার্যকর হয়ে যেতে পারে।
'''ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা'''
আইওএস-এর ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতার জন্য অ্যাপল মূলত প্রশংসিত হয়েছে। এটি 'নান্দনিক অখণ্ডতা' এবং 'ধারাবাহিকতা' নীতির উপর নির্ভর করে অ্যাপল উল্লেখ করেছে যে নান্দনিকতার সাথে এটি সৌন্দর্য সম্পর্কে খুব বেশি কিছু নয় বরং, "একটি অ্যাপের চেহারা এবং আচরণ কতটা ভালোভাবে তার কার্যকারিতার সাথে একটি সুসংগত বার্তা পাঠায় তা বোঝায়।" "আইওএস-এর অ্যাপ স্টোরে অ্যান্ড্রয়েডের গুগল প্লে-এর তুলনায় কঠোর নির্দেশিকা রয়েছে।" এটি ইতিবাচক নাকি নেতিবাচক বৈশিষ্ট্য তা নিয়ে মতবিরোধ রয়েছে। IOS-এর 'ধারাবাহিকতা' নীতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ, সমস্ত অ্যাপই মানুষের দ্বারা পর্যালোচনা করা হয়, সম্প্রতি অ্যান্ড্রয়েডও এই বৈশিষ্ট্যটি গ্রহণ করেছে। এটিকে আইওএসের কঠোর নির্দেশিকাগুলো ইতিবাচক বলে গ্রহণযোগ্যতা হিসেবে দেখা হচ্ছে।
'''ওয়েব ব্রাউজার'''
গুগল ক্রোম এবং ফায়ারফক্সের মতো একাধিক ওপেন সোর্স ওয়েব ব্রাউজার আইওএস সহ অ্যাপ স্টোর থেকে ডাউনলোডের জন্য উপলব্ধ। তবে Safari হলো বিল্ট-ইন ইন্টারনেট ব্রাউজার, এবং তাই, খোলা যেকোনো লিঙ্ক Safari তে পুনঃনির্দেশিত হবে ব্যবহারকারীদের দ্বারা Safari প্রশংসিত এবং সমালোচিত উভয়ই হয়েছে। অ্যাপল তার ব্রাউজারগুলো (সাফারি, ক্রোম, ফায়ারফক্স ইত্যাদি) ওয়েবকিট তে চালায় তাই গতি ধারাবাহিকভাবে বেশি থাকে। 'ট্র্যাক করবেন না' বৈশিষ্ট্যটি সমর্থন করার জন্য সাফারিও প্রশংসিত হয়েছে। স্মার্টফোনের গোপনীয়তা নিয়ে উদ্বিগ্ন ব্যক্তিদের জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি বিজ্ঞাপনদাতাদের অনলাইনে আপনার ট্র্যাক করা বন্ধ করে দেয়। তবে আইওএসের মালিকানাধীন প্রকৃতির কারণে, তারা অন্যান্য ওয়েব ব্রাউজারগুলোতে এই ফাংশনের প্রাপ্যতা সীমিত করেছে, তাদের সাফারি ব্যবহারে রাজি করার একটি ধারণাগত প্রচেষ্টা হিসেবে। তৃতীয় পক্ষের ব্রাউজারগুলোতে IOS-এর আরও অনেক বিধিনিষেধ রয়েছে। যেহেতু Safari iOS-এ অন্তর্নির্মিত, তাই সিস্টেম ক্র্যাশ বিশ্বব্যাপী একাধিক ডিভাইসের বেশিরভাগ IOS ব্যবহারকারীকে প্রভাবিত করবে। ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে এই ঘটনাটি ঘটেছিল যখন কোনও ব্যবহারকারী অ্যাড্রেস বারে কিছু অনুসন্ধান করলে একটি বাগ সাফারি ক্র্যাশ করে
==== অ্যান্ড্রয়েড প্ল্যাটফর্ম নিরাপত্তা ====
'''অ্যান্ড্রয়েড নিরাপত্তা প্রতিশ্রুতি'''
অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল প্ল্যাটফর্মের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ এবং ব্যবহারযোগ্য অপারেটিং সিস্টেম হতে চায়, ঐতিহ্যবাহী অপারেটিং সিস্টেমের নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রণগুলোকে পুনঃউদ্দেশ্য দিয়ে:
* ব্যবহারকারীর ডেটা সুরক্ষিত করুন
* সিস্টেম রিসোর্স (নেটওয়ার্ক সহ) সুরক্ষিত করুন
* অ্যাপ্লিকেশন আইসোলেশন প্রদান করুন
এই লক্ষ্যগুলো অর্জনের জন্য, অ্যান্ড্রয়েড এই গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্যগুলো প্রদান করে:
* লিনাক্স কার্নেলের মাধ্যমে অপারেটিং সিস্টেম স্তরে শক্তিশালী নিরাপত্তা
* সকল অ্যাপ্লিকেশনের জন্য বাধ্যতামূলক অ্যাপ্লিকেশন স্যান্ডবক্স
* নিরাপদ আন্তঃপ্রক্রিয়া যোগাযোগ
* আবেদনপত্র স্বাক্ষর
* অ্যাপ্লিকেশন-সংজ্ঞায়িত এবং ব্যবহারকারী-প্রদত্ত অনুমতি
'''অ্যান্ড্রয়েড নিরাপত্তা সমালোচনা'''
অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ্লিকেশনগুলো একটি স্যান্ডবক্সে চলে। এটি সিস্টেমের একটি বিচ্ছিন্ন এলাকা যেখানে সিস্টেমের বাকি সংস্থানগুলোতে প্রাপ্যতা থাকে না, যদি না অ্যাপ্লিকেশনটি ইনস্টল করার সময় ব্যবহারকারী দ্বারা স্পষ্টভাবে প্রাপ্যতাের অনুমতি দেওয়া হয়। যদিও, Felt & Chin (২০১২) এর পর্যবেক্ষণ অনুযাতী, "'স্যান্ডবক্সিং' এবং অনুমতি ব্যবস্থা অ্যাপ্লিকেশনগুলোতে দুর্বলতা এবং বাগের প্রভাব কমায়। কিন্তু ডেভেলপারদের বিভ্রান্তি এবং সীমিত ডকুমেন্টেশনের ফলে অ্যাপ্লিকেশনগুলো নিয়মিতভাবে অপ্রয়োজনীয় অনুমতির অনুরোধ করে। এর ফলে এর কার্যকারিতা হ্রাস পায়"। এর উপরে, এটিও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে যে অ্যান্ড্রয়েডের ফ্র্যাগমেন্টেশন নিরাপত্তার জন্যও একটি সমস্যা। কারণ মূল অপারেটিং সিস্টেমে পাওয়া বাগের প্যাচগুলো প্রায়ই পুরানো এবং কম দামের ডিভাইসের ব্যবহারকারীদের কাছে পৌঁছায় না (কিংসলে-হিউজেস, ২০১৫)। অধিকন্তু, কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় দুর্বলতার উপর গবেষণা চালিয়েছে, যেখানে তারা এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে যে "বিক্রেতাদের প্যাচ এবং আপডেট সহ পুরানো ডিভাইসগুলোকে সমর্থন করতে ব্যর্থতার ফলে সক্রিয় ডিভাইসগুলোর সাতাশি শতাংশেরও বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে" (থমাস, বেরেসফোর্ড এবং রাইস ২০১৪)।
'''নম্বর অনুসারে অ্যান্ড্রয়েড'''
২০১৩ সালের ৩ সেপ্টেম্বরের তথ্য অনুযায়ী গুগল প্লে অ্যাপ স্টোর এক বিলিয়নেরও বেশি অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস সক্রিয় করেছে। আনুমানিক হিসাব অনুসারে, ৪০০ টিরও বেশি অ্যাপ্লিকেশন কমপক্ষে এক কোটি বার এবং ৮০০ টিরও বেশি অ্যাপ্লিকেশন কমপক্ষে পাঁচ কোটি বার ইনস্টল করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এই অ্যাপগুলো হলো গুগল প্লে অ্যাপ যার ডাউনলোড সংখ্যা অনন্য ডিভাইসে এক বিলিয়নেরও বেশি। ২০১৫ সালের ২৫শে জুন তারিখের তথ্য অনুযায়ী এই শীর্ষ বিভাগে স্থান পাওয়ার জন্য ১২টি অ্যাপ্লিকেশন রয়েছে। এগুলোর প্রতিটিই গুগল অথবা ফেসবুকের মালিকানাধীন:
# জিমেইল
# গুগল ম্যাপস
# ইউটিউব
# ফেসবুক
# গুগল সার্চ
# গুগল+
# হোয়াটসঅ্যাপ
# গুগল টেক্সট-টু-স্পিচ
# গুগল বই
# বার্তাবহ
# গুগল হ্যাঙ্গআউট
# গুগল ক্রোম
'''আইওএস প্ল্যাটফর্ম নিরাপত্তা'''
প্রতিটি iOS ডিভাইস সর্বাধিক নিরাপত্তা এবং স্বচ্ছ ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতার জন্য একসাথে কাজ করার জন্য ডিজাইন করা সফটওয়্যার, হার্ডওয়্যার এবং পরিষেবাগুলোকে একত্রিত করে। iOS কেবল ডিভাইস এবং এর ডেটাই সুরক্ষিত রাখে না, বরং সমগ্র ইকোসিস্টেমকে সুরক্ষিত রাখে, যার মধ্যে রয়েছে স্থানীয়ভাবে, নেটওয়ার্কে এবং গুরুত্বপূর্ণ ইন্টারনেট পরিষেবাগুলোর মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা যা কিছু করেন তা। iOS-এর অনেক নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য ডিফল্টরূপে সক্রিয় থাকে, তাই আইটি বিভাগগুলোকে ব্যাপক কনফিগারেশন সম্পাদনের প্রয়োজন হয় না। এবং ডিভাইস এনক্রিপশনের মতো গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্যগুলো কনফিগারযোগ্য নয়, তাই ব্যবহারকারীরা ভুল করেও সেগুলো অক্ষম করতে পারবেন না। অন্যান্য বৈশিষ্ট্য, যেমন টাচ আইডি, ডিভাইসটিকে সুরক্ষিত করা সহজ এবং আরও স্বজ্ঞাত করে ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা উন্নত করে।
'''আইওএস নিরাপত্তা প্রতিশ্রুতি'''
অ্যাপল নিরাপত্তার বিষয়টিকে কেন্দ্র করে iOS প্ল্যাটফর্মটি ডিজাইন করেছে। যখন আমরা সর্বোত্তম সম্ভাব্য মোবাইল প্ল্যাটফর্ম তৈরির লক্ষ্যে যাত্রা শুরু করি, তখন আমরা কয়েক দশকের অভিজ্ঞতা থেকে সম্পূর্ণ নতুন একটি স্থাপত্য তৈরি করি। ফলস্বরূপ, মোবাইল ডিভাইসের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে iOS একটি বড় অগ্রগতি।
আইওএস সিকিউরিটি নিম্নলিখিত বৈশিষ্ট্যগুলো প্রদান করতে চায়:
* সিস্টেম নিরাপত্তা: সমন্বিত এবং সুরক্ষিত সফটওয়্যার এবং হার্ডওয়্যার যা প্ল্যাটফর্ম
আইফোন, আইপ্যাড এবং আইপড টাচের জন্য।
* এনক্রিপশন এবং ডেটা সুরক্ষা: স্থাপত্য এবং নকশা যা ব্যবহারকারীর ডেটা সুরক্ষিত রাখে যদি
ডিভাইসটি হারিয়ে গেলে বা চুরি হয়ে গেলে, অথবা যদি কোনও অননুমোদিত ব্যক্তি এটি ব্যবহার বা পরিবর্তন করার চেষ্টা করে।
* অ্যাপ নিরাপত্তা: এমন সিস্টেম যা অ্যাপগুলোকে নিরাপদে এবং আপস ছাড়াই চালাতে সক্ষম করে
* নেটওয়ার্ক নিরাপত্তা: ট্রান্সমিশনে ডেটার প্রমাণীকরণ এবং এনক্রিপশনের মাধ্যমে শিল্প-মানক নেটওয়ার্কিং প্রোটোকল যা নিরাপদ প্রদান করে ।
* অ্যাপল পে: অ্যাপলের নিরাপদ পেমেন্ট বাস্তবায়ন।
* ইন্টারনেট পরিষেবা: মেসেজিং, সিঙ্কিং এবং ব্যাকআপ।
* ডিভাইস কন্ট্রোল: এমন পদ্ধতি যা ডিভাইসের অননুমোদিত ব্যবহার প্রতিরোধ করে এবং সক্ষম করে। এর মাধ্যমে হারিয়ে গেলে বা চুরি হয়ে গেলে দূর থেকে মুছে ফেলা হবে।
* প্রাইভেসি কন্ট্রোল: iOS এর ক্ষমতা যা লোকেশন প্রাপ্যতা নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যবহার করা যেতে পারে
'''আইওএস নিরাপত্তা সমালোচনা'''
নিরাপত্তা হুমকি মোকাবেলায় অ্যাপলের উন্মুক্ততা নিয়ে বিশেষজ্ঞ এবং সাংবাদিক উভয়ই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। বিশেষ করে তারা আশঙ্কা করছে যে অ্যাপল তার নিরাপত্তা দুর্বলতা সম্পর্কে জনসাধারণকে অবহিত করার জন্য পদক্ষেপ না নিয়ে তার ক্লায়েন্টদের বিপদে ফেলবে। তবে অ্যাপল পণ্যের নিরাপত্তা দুর্বলতা সম্পর্কে জনগণের সচেতনতার অভাব জনসাধারণকে বিভ্রান্ত করার জন্য অ্যাপলের সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। এটি বছরের পর বছর ধরে বেড়েছে (ভিয়েগা, ২০০৯)। এই সমালোচনা অ্যাপলের সময়মতো নিরাপত্তা আপডেট সহ তার পণ্যগুলো আপডেট করতে ব্যর্থতার দিকেও দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। কিছু বিশেষজ্ঞের মতে, সামগ্রিকভাবে, অ্যাপল পণ্যগুলোতে হ্যাকারদের আক্রমণ বা ভাইরাস/ম্যালওয়্যার দ্বারা সংক্রামিত হওয়ার সম্ভাবনা কম, যদিও তারা জোর দিয়ে বলেন যে এটি মূলত অ্যাপল পণ্যগুলোতে আক্রমণে হ্যাকারদের আগ্রহের অভাবের কারণে, যদিও iCloud এবং অ্যাপল ডিভাইসগুলোকে ঘিরে সাম্প্রতিক নিরাপত্তা হুমকিগুলো অন্যথার ইঙ্গিত দেয়।
২০১৩ সালের জুন মাসে দ্য গার্ডিয়ান এবং দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট উভয়ের দ্বারা ফাঁস হওয়া জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার নথি উন্মোচিত হওয়ার পর অ্যাপলের উপর আরেকটি দ্বিধা তৈরি হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। নথিগুলোতে বলা হয়েছে যে অ্যাপল আমেরিকান কোম্পানিগুলোর তালিকায় রয়েছে যারা অভিযোগ করে যে PRISM-এর সাথে সহযোগিতা করে। এটি সরকারকে গোপনে আমেরিকান কোম্পানিগুলোর দ্বারা হোস্ট করা অ-আমেরিকান নাগরিকদের ডেটা প্রাপ্যতা করার সুযোগ দেয় কোনও ওয়ারেন্ট ছাড়াই। সরকারি কর্মকর্তারা এই প্রোগ্রামের অস্তিত্ব স্বীকার করেছেন। এটি থেকে বোঝা যায় যে "এনএসএ-র ওই কোম্পানিগুলোর সার্ভারগুলোতে সরাসরি প্রবেশাধিকার রয়েছে, এবং ফাঁসের আগের বছরগুলোতে প্রোগ্রামের মাধ্যমে সংগৃহীত তথ্যের পরিমাণ দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছিল" (স্যাভেজ, ২০১৩)। অ্যাপল এই প্রোগ্রাম সম্পর্কে কোনও জ্ঞান থাকার কথা অস্বীকার করেছে।
অ্যাপল এখনও iOS নিরাপদ বলে দাবি করে। তবে iOS নিরাপত্তা সংক্রান্ত সাম্প্রতিক কেলেঙ্কারির পর অনেক ব্যবহারকারী ভিন্ন মত পোষণ করবেন। ২০১৫ সালের ২০ সেপ্টেম্বরের দিকে চিহ্নিত সর্বশেষ নিরাপত্তা সংক্রান্ত দুর্নীতির ঘটনাগুলো হলো, চীনে অবস্থিত কিছু ডেভেলপার iOS অ্যাপ স্টোরের জন্য অ্যাপ তৈরি করতে ভুল প্রোগ্রাম ব্যবহার করেছেন।<ref>http://www.macworld.co.uk/feature/iosapps/is-ipad-iphone-ios-safe-xcodeghost-what-security-software-need-3453938/</ref> ধারণা করা হচ্ছে যে ডেভেলপাররা Xcode-এর একটি নকল সংস্করণ ডাউনলোড করেছেন। কারণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে হোস্ট করা অ্যাপলের নিজস্ব সার্ভার থেকে ডাউনলোড করতে অনেক সময় লাগছিল। Xcode-এর মোট আকার প্রায় ৩.৯ গিগাবাইট। চীনা ডেভেলপাররা অ্যাপলের নিজস্ব Xcode-এর পরিবর্তে XcodeGhost ব্যবহার করছিলেন। প্রভাবিত অ্যাপগুলো চীনা হলেও সেগুলোর মধ্যে অ্যাংরি বার্ডস ২-এর মতো কয়েকটি জনপ্রিয় অ্যাপ ছিল। যদিও রোভিও নিশ্চিত করেছে যে অ্যাংরি বার্ডস ২-এর শুধুমাত্র চীনা অ্যাপ স্টোর সংস্করণটি ঝুঁকিপূর্ণ।9to5Mac অনুসারে, শীঘ্রই এর সমাধান আসছে। কিন্তু সাম্প্রতিক নিরাপত্তার কৃতিত্বের পাশাপাশি, ২০১৪ সালটি এমন একটি বছর হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে যেখানে IOS-এর নিরাপত্তা দুর্বলতা সর্বকালের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে বেশ কয়েকটি নিরাপত্তা ত্রুটি চিহ্নিত করা হয়েছিল। এর ফলে যদি ব্যবহারকারী একটি অরক্ষিত হটস্পট ব্যবহার করেন, সম্ভবত একটি ইন্টারনেট ক্যাফেতে একজন আক্রমণকারীর পক্ষে ব্যবহারকারীর ডেটা আটকানো সম্ভব হয়েছিল ।
'''সংখ্যা অনুসারে আইওএস'''
অ্যান্ড্রয়েডের পরে iOS হলো বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বাধিক জনপ্রিয় মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আইপ্যাডের বিক্রি অ্যান্ড্রয়েডের চেয়েও পিছিয়ে। যদিও ওয়েব ব্যবহারের (সকল ব্যবহারের জন্য একটি প্রক্সি) দিক থেকে আইপ্যাড (আইওএস ব্যবহার করে) এখনও সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়। ২০১২ সালের মাঝামাঝি সময়ে ৪১ কোটি ডিভাইস সক্রিয় করা হয়েছিল। WWDC ২০১৪-তে, টিম কুক বলেছিলেন, ২০১৪ সালের জুন নাগাদ ৮০০ মিলিয়ন ডিভাইস বিক্রি হয়েছে। ২৭ জানুয়ারি, ২০১৫ তারিখে অ্যাপলের ত্রৈমাসিক আয়ের আহ্বানের সময়, অ্যাপল ঘোষণা করে যে ২০০৭ সাল থেকে তারা এখন এক বিলিয়ন iOS ডিভাইস বিক্রি করেছে (শুধুমাত্র ২০১৪ সালে বিক্রি হওয়া অ্যান্ড্রয়েডের তুলনায় একটু কম)। ১৬ জানুয়ারি, ২০০৯ তারিখে, অ্যাপল তার ওয়েবসাইটে ঘোষণা করে যে ৫০ কোটি অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড করা হয়েছে। বিলিয়নতম অ্যাপ্লিকেশনটি ২৩শে এপ্রিল, ২০০৯ তারিখে ডাউনলোড করা হয়েছিল। ৩ মার্চ, ২০১২ তারিখে, ডাউনলোড করা অ্যাপের সংখ্যা ২৫ বিলিয়নে পৌঁছেছে। ৮ জুন, ২০১৫ তারিখে, অ্যাপল ঘোষণা করে যে অ্যাপ স্টোর ১০০ বিলিয়ন ডাউনলোড অতিক্রম করেছে।
ডিসেম্বর ২০১৪-এর সবচেয়ে বেশি ডাউনলোড হওয়া আইফোন এবং আইপ্যাড অ্যাপগুলোর তালিকা এখানে দেওয়া হলো: (পেইড/ ফ্রি)
# ক্ল্যাশ অফ ক্ল্যানস / অ্যাংরি বার্ডস ২
# মাইনক্রাফট / স্ন্যাপচ্যাট
# আফটারলাইট / ইউটিউব
# প্লেগ ইনকর্পোরেটেড / ফেসবুক
# স্লিপ সাইকেল অ্যালার্ম ক্লক / ইনস্টাগ্রাম
# ফেসটিউন / প্যান্ডোরা রেডিও
# কাট দ্য রোপ ২ / গুগল ম্যাপস
# ব্লুনস টিডি ৫ / ফ্লিপগ্রাম
# একটি অন্ধকার ঘর / স্পটিফাই
# ৭ মিনিট ওয়ার্কআউট চ্যালেঞ্জ / ২০৪৮
=== ওয়েব ব্রাউজার ===
==== ভূমিকা ====
[[ওয়েব ব্রাউজার]] হলো এমন অ্যাপ্লিকেশন যা একসময় ব্যবহারকারীদের ইন্টারনেট প্রাপ্যতা এবং ব্যবহার করার সুযোগ দেওয়ার জন্য ব্যবহার করা হত। কিন্তু প্রযুক্তি যত উন্নত হচ্ছে, ততই আমরা ব্রাউজারটি খোলার জন্য আরও বেশি ব্যবহার খুঁজে পাচ্ছি। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, ব্যবহারকারী ইন্টারফেস এবং এক্সটেনশনের মতো সহজ বৈশিষ্ট্যগুলো গ্রাহকদের মধ্যে সিদ্ধান্ত প্রক্রিয়ার অংশ হয়ে উঠেছে যখন তারা কোন ওয়েব ব্রাউজার ব্যবহার করবেন তা সিদ্ধান্ত নেন।
প্রথম ওয়েব ব্রাউজারটি তৈরি করা হয়েছিল কেবল WorldWideWeb (পরবর্তীতে নামটি নেক্সাসে পরিবর্তিত হয়)। [[টিম বার্নার্স-লি|স্যার টিম বার্নার্স-লি]] ১৯৯০ সালে এটি তৈরি করেন। সময়ের সাথে সাথে এবং প্রযুক্তির উন্নতির সাথে সাথে, সহজেই প্রাপ্যতাযোগ্য ব্রাউজারের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়, যার কিছুক্ষণ পরেই ১৯৯২ সালে Erwise মুক্তি পায় এবং এটি গ্রাফিক্যাল ইউজার ইন্টারফেস সহ প্রথম সাধারণভাবে প্রাপ্যতাযোগ্য ব্রাউজার ছিল। তবে ১৯৯৩ সালে [[মোজাইক (ব্রাউজার)|মোজাইক]] মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই জনসাধারণের কাছে একটি সহজে অতিক্রমযোগ্য লেআউট উপস্থাপন করা হয়েছিল, যেখানে এটি ব্যবহারকারী সকলের জন্য আরও সুগম ব্যবহারকারী ইন্টারফেসের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করা হয়েছিল। মোজাইকে বাস্তবায়িত অনেক বৈশিষ্ট্য এখনও বর্তমান জনপ্রিয় ব্রাউজারগুলোতে বিদ্যমান, যেমন উপরে একটি URL বার এবং পিছনে/ফরোয়ার্ড বোতাম।
বর্তমানে, বাজারে পাঁচটি ব্রাউজার আধিপত্য বিস্তার করছে; [[ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার]], [[মোজিলা ফায়ারফক্স|ফায়ারফক্স]], [[গুগল ক্রোম|গুগল ক্রোম,]] [[সাফারি (ওয়েব ব্রাউজার)|সাফারি]] এবং [[অপেরা (ওয়েব ব্রাউজার)|অপেরা]] । এই পাঁচটি ব্রাউজারে বেশিরভাগই কিছুটা উন্মুক্ত উৎসের। সোর্স কোডের কিছু দিক সকলের জন্য প্রাপ্যতাযোগ্য। এর একমাত্র ব্যতিক্রম ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার। এটি ১৯৯৫ সালে প্রকাশের পর থেকে সম্পূর্ণ মালিকানাধীন।
==== ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের আধিপত্য এবং পতন ====
ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার প্রথম আত্মপ্রকাশ করে ১৯৯৫ সালে যা [[মাইক্রোসফট কর্পোরেশন|মাইক্রোসফট]] দ্বারা উইন্ডোজ ৯৫ অ্যাড-অন প্যাকেজের অংশ হিসেবে তৈরি করা হয়েছিল এবং লঞ্চের সময় এটি অত্যন্ত সফল হয়েছিল। ২০০০-এর দশকের গোড়ার দিকে, ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার বাজারের বেশিরভাগ অংশ দখল করে রেখেছিল, ২০০৩ সালে ৯৫%-এ পৌঁছেছিল। তবে অন্যান্য জনপ্রিয় ওয়েব ব্রাউজারগুলোর উত্থানের সাথে সাথে, বাজারে ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের আধিপত্য এখন প্রায় হাস্যকর বলে মনে হচ্ছে, ব্রাউজারটি অনেক ইন্টারনেট রসিকতার মূল বিষয়। যদিও এটি শীর্ষ পাঁচটি সর্বাধিক ব্যবহৃত ব্রাউজারের মধ্যে রয়ে গেছে, তবুও এর জনপ্রিয়তা এবং খ্যাতি এখনও ক্ষতিগ্রস্ত এবং ক্রমাগত হ্রাস পাচ্ছে এমন ব্যবহারের পরিসংখ্যান তা প্রতিফলিত করে। <ref>http://gs.statcounter.com/#all-browser-ww-monthly-200812-201602</ref>
ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের ইতিহাসে এমন অনেক বিষয় রয়েছে যা মানুষ এর জনপ্রিয়তা হ্রাসের কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছে, যার মধ্যে কিছু বিষয় এই সত্যকে প্রতিফলিত করে যে IE প্রকৃতিগতভাবে সম্পূর্ণ মালিকানাধীন। প্রথমত, ২০০১ সালে ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের ষষ্ঠ প্রধান সংস্করণ, IE6- এর মুক্তিকে এই মুহূর্তগুলোর মধ্যে একটি বলে মনে করা হয়। [[ম্যালওয়্যার]] এবং অন্যান্য নিরাপত্তা লঙ্ঘনের বৃহৎ সমস্যা দেখা দেওয়ার সাথে সাথে, বিশেষজ্ঞরা ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার ব্যবহারকারীদের অন্যান্য নির্ভরযোগ্য ব্রাউজারে স্যুইচ করার পরামর্শ দিতে শুরু করেছেন। <ref>https://www.schneier.com/blog/archives/2004/12/safe_personal_c.html</ref> ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের একটি সাধারণ অভিযোগ হলো এই ধরণের সমস্যা আবিষ্কার করা এবং সমস্যাটি সমাধানের জন্য একটি প্যাচ প্রকাশ করার মধ্যে সময় লাগে। এটি প্রায়ই এর মালিকানাধীন প্রকৃতির কারণে হয়। এই ধরনের সমস্যা সমাধানের জন্য একটি নিবেদিতপ্রাণ দল থাকার অর্থ হলো, যখন কোনও পরিচিত সমস্যা দেখা দেয় তখন সহায়তা পাওয়া সহজ হয়, তবে নিরাপত্তার বিষয়গুলোর সমাধান খুঁজে বের করার ক্ষেত্রে, ওপেন সোর্স উপাদানগুলো প্রায়ই সম্প্রদায়গুলোকে দ্রুত সমাধান খুঁজে বের করার জন্য বিনিয়োগ করে এবং তাই তারা একটি পৃথক দলের চেয়ে দ্রুত সমাধান তৈরি এবং প্রকাশ করতে পারে।
ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের পতনের কথা বলার সময় আরেকটি আকর্ষণীয় বিবেচ্য বিষয় হলো হার্ডওয়্যার IE এর সাথে সম্পর্কিত। ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার প্রায়ই মাইক্রোসফট পণ্যের সাথে প্যাকেজ করা হয়, বিশেষ করে উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম এবং এক্সবক্স ৩৬০। তবে যখন ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার প্রাধান্য পেয়েছিল, তখন এটি আরও অনেক ডিভাইসে প্রাপ্যতাযোগ্য ছিল, বিশেষ করে [[ম্যাকিন্টশ|ম্যাকিনটোশ কম্পিউটারে]] । ম্যাকিনটোশ ব্যবহারকারীদের মধ্যে জনপ্রিয় হওয়া সত্ত্বেও, মাইক্রোসফট ঘোষণা করে যে তারা ২০০৫ সালে ম্যাকিনটোশ কম্পিউটারে ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের ডেভেলপমেন্ট বন্ধ করার পরিকল্পনা করছে। যেহেতু IE একটি মালিকানাধীন ব্রাউজার, তাই এটি ডেভেলপমেন্টের দৃষ্টিকোণ থেকে অনেক অর্থবহ। এটি উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের ডেভেলপমেন্টের উপর আরও বেশি মনোযোগ দেওয়ার সুযোগ করে দেয়। তবে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্নতার ফলে বাজারের একটি বৃহৎ অংশ সম্পূর্ণরূপে প্রাপ্যতাযোগ্য হয়ে ওঠে না, এমন একটি সমস্যা যা সফটওয়্যারটি ওপেন সোর্স হলে বিদ্যমান থাকত না। এই কোড ব্যবহারের মাধ্যমে, ম্যাকিনটোশ ব্যবহারকারীরা নিজেরাই সফটওয়্যারটি আপডেট করতে পারবেন এবং তাদের পছন্দের কম্পিউটারে চালানোর জন্য ব্রাউজারগুলো আপডেট করার পদ্ধতিগুলো বের করতে পারবেন। এই বিশেষ উদাহরণে, মনে হচ্ছে একটি ওপেন সোর্স ব্রাউজার থাকা বৃহত্তর দর্শকদের কাছে পৌঁছানোর ক্ষেত্রে আরও উপকারী।
==== ফায়ারফক্সের আধিপত্য এবং পতন ====
২০০৪ সালের শেষের দিকে, [[মোজিলা|মজিলা]] ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে মজিলা ফায়ারফক্স প্রকাশ করে। এটি সম্পূর্ণরূপে ওপেন সোর্স ওয়েব ব্রাউজার। এটি এর গতি, নিরাপত্তা এবং ব্রাউজার এক্সটেনশনের মতো নতুন বৈশিষ্ট্যগুলোর জন্য ব্যাপক প্রশংসা লাভ করে, যাকে অ্যাড-অনও বলা হয়। অধিকন্তু, ওপেন সোর্স ইন নেচার হওয়ায় ফায়ারফক্স ব্যবহারকারীদের ইন্টারনেটের সাথে কীভাবে যোগাযোগ করা যায় সে সম্পর্কে আরও স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছিল। এটি মজিলা ম্যানিফেস্টোর দ্বিতীয় দাবি "ইন্টারনেট একটি বিশ্বব্যাপী পাবলিক রিসোর্স যা উন্মুক্ত এবং প্রাপ্যতাযোগ্য থাকা উচিত" দ্বারা সবচেয়ে ভালোভাবে অনুমান করা হয়েছে। <ref>https://www.mozilla.org/en-GB/about/manifesto/</ref>
একটি ওপেন সোর্স ব্রাউজার হিসেবে, ফায়ারফক্স তৃতীয় পক্ষের ডেভেলপমেন্ট থেকে উপকৃত হয়, বিশেষ করে অ্যাড-অনগুলোর মাধ্যমে যা ব্যবহারকারীদের ব্রাউজারটি কীভাবে কাজ করে তা নিয়ন্ত্রণ করতে দেয়। ফায়ারফক্সের কোড সকলের জন্য উপলব্ধ হওয়ার সাথে সাথে, গ্রাহকদের তাদের ব্রাউজিং অভিজ্ঞতায় ইচ্ছামত বৈশিষ্ট্য যোগ করার জন্য এক্সটেনশন তৈরি করার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল, যেমন অ্যাডব্লকের মতো এক্সটেনশন ব্যবহার করে অবাঞ্ছিত বিজ্ঞাপন অপসারণ করা। আরও সুন্দরভাবে, ফায়ারফক্স কাস্টম ব্যবহারকারী থিমগুলোকেও সমর্থন করেছিল। এটি ব্যবহারকারীদের ব্রাউজারের চেহারা এবং রঙের স্কিম পরিবর্তন করার সুযোগ দেয়। এটি আরও উপযুক্ত ব্রাউজিং অভিজ্ঞতা তৈরি করে। নিরাপত্তা সমস্যার সমাধান দ্রুত খুঁজে পাওয়া যায় এবং ওপেন সোর্স প্রোগ্রামগুলো আরও সুরক্ষিত হওয়ার সাথে সাথে, ফায়ারফক্স তাৎক্ষণিকভাবে জনপ্রিয়তা অর্জন করে, বিশেষ করে তার প্রধান প্রতিযোগী ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার ৬-এর তুলনায়।
তবে ফায়ারফক্সের পরিষেবা হিসেবে একটি প্রধান সমস্যা হলো আপডেট এবং এর মধ্যে থাকা বিষয়বস্তুর ক্ষেত্রে এর নির্ভরযোগ্যতা। ফায়ারফক্সের অনেক আপডেটই ছোটখাটো প্রকৃতির এবং সম্প্রদায়-ভিত্তিক হওয়ায়, গ্রাহকদের আগ্রহের জন্য খুব কমই নতুন, বৃহৎ পরিসরের বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এর ফলে ফায়ারফক্স ব্যবহারকারীদের একটি নিবেদিতপ্রাণ সম্প্রদায় তৈরি হয়। কিন্তু নতুন ব্যবহারকারীর সংখ্যা কম হয়। যদিও ফায়ারফক্সের স্থিতিশীলতা ধারাবাহিকভাবে ভালো রয়ে গেছে, ছোটখাটো সম্প্রদায়-চালিত বাগ সংশোধনের বাইরে প্রভাবশালী উন্নতির অভাবের ফলে এর ব্যবহারের পরিসংখ্যান কিছুটা স্থবির হয়ে পড়েছে। <ref>http://www.digitaltrends.com/computing/internet-explorer-chrome-and-firefox-market-share-for-october/</ref>
==== গুগল ক্রোমের উত্থান ====
২০০৮ সালে গুগল তাদের নিজস্ব ওয়েব ব্রাউজার, গুগল ক্রোম দিয়ে ব্রাউজার যুদ্ধে প্রবেশ করে। মুক্তি পাওয়ার পর থেকে, ক্রোমের জনপ্রিয়তা কেবল বৃদ্ধি পেয়েছে, বর্তমানে এটি বাজারে আধিপত্য বিস্তার করেছে এবং ফেব্রুয়ারি ২০১৬ পর্যন্ত মোট ব্যবহারের ৪৭.৭৭% ব্যবহার রয়েছে। গুগল ক্রোম একটি ফ্রিওয়্যার, যার অর্থ এর কিছু উপাদান রয়েছে যা প্রকৃতিগতভাবে মালিকানাধীন, তবে এর বেশিরভাগ কোডই ওপেন সোর্স। এর জনপ্রিয়তার পেছনে অনেক বৈশিষ্ট্য রয়েছে, এর সহজলভ্য, ন্যূনতম ইন্টারফেস এবং গতি মাত্র কয়েকটি।
ওপেন সোর্স হওয়ায় ফায়ারফক্সের মতোই ক্রোম উপকৃত হয়েছে, ঘন ঘন আপডেট, থিম এবং ব্রাউজার এক্সটেনশনের মতো বৈশিষ্ট্যগুলো ক্রোম ব্যবহারকারীদের জন্য উপলব্ধ। যদিও ফায়ারফক্সের ওপেন সোর্স প্রকৃতি এটিকে প্রাথমিকভাবে জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি করেছিল, একই রকম বৈশিষ্ট্য এবং সুপরিচিত আইটি কোম্পানি গুগলের সাথে সংযোগ ক্রোমকে তার আধিপত্য প্রতিষ্ঠার জন্য প্রয়োজনীয় রিলিজের সময় তা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করেছিল। [[ক্রোমিয়াম (ওয়েব ব্রাউজার)|ক্রোমিয়াম]] ক্রোমের সোর্স কোডে সহজে প্রাপ্যতাের সুযোগ করে দেওয়ার ফলে, ইচ্ছুকদের আউটসোর্সিং করে ক্রোমের জন্য লিনাক্স এবং ম্যাক ওএস এক্স পোর্টের কিছু ডেভেলপমেন্ট কাজ সহজ করা হয়েছে। <ref>http://arstechnica.com/information-technology/2008/09/google-unveils-chrome-source-code-and-linux-port/</ref> এর ফলে গুগলকে ইউজার ইন্টারফেস উন্নত করার এবং ব্রাউজারের আরও ভালো বিজ্ঞাপন দেওয়ার মতো বৈশিষ্ট্যগুলোতে মনোনিবেশ করার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছিল, এই সুযোগটি কাজে লাগিয়ে যে সার্চ ইঞ্জিন গুগল তাদের ব্রাউজার প্রচারের জন্য একটি সাধারণভাবে ব্যবহৃত পরিষেবা ছিল। তাদের কোডের ওপেন সোর্সিংয়ের মাধ্যমে ঘন ঘন আপডেটের সুযোগ দেওয়া হয় এবং নির্ভরযোগ্য এবং দ্রুত পরিষেবা পাওয়া যায়, তাই গুগল ক্রোম কেন জনপ্রিয়তার দিক থেকে এগিয়ে চলেছে তা স্পষ্ট।
'''http://www.telegraph.co.uk/technology/news/9163335/Whats-behind-the-rise-of-Google-Chrome.html'''
== ওপেন সোর্স সফটওয়্যার কী? ==
ওপেন সোর্স সফটওয়্যার (OSS) হলো গ্নু এবং Linux এর মতো প্রোগ্রাম যা প্রোগ্রামারদের নির্দিষ্ট সফটওয়্যার সম্পাদনা এবং উন্নত করার জন্য সোর্স কোড পরিবর্তন করতে দেয়। মুইর তার ওপেন সোর্স সফটওয়্যার বইয়ে OSS কে "প্রকৃত সোর্স কোডে প্রাপ্যতা" হিসেবে সংজ্ঞায়িত করেছেন। এটি প্রায়ই গ্নু পাবলিক লাইসেন্সের অধীনে পাওয়া যায়। এটি প্রোগ্রামারদের সফটওয়্যার পরিবর্তন করতে এবং এটি পুনরায় বিতরণ করতে দেয়, এই প্রয়োজনে যে তারা এই পরিবর্তনগুলো অন্যান্য ডেভেলপারদের কাছে উপলব্ধ করে।" <ref>Muir, Scott P, and Leggott, Mark, eds. Open Source Software. Bradford, GBR: Emerald Group Publishing Ltd, 2005. ProQuest ebrary. Web. 5 March 2016</ref> এটিকে বিনামূল্যের সফটওয়্যার হিসাবেও পরিচিত করা যেতে পারে তবে আমি এই বাক্যাংশটি থেকে দূরে থাকব কারণ এটি 'মুক্ত বাকস্বাধীনতা'র পরিবর্তে 'মুক্ত জিনিস' ধারণার মতো বিনামূল্যের কথা উল্লেখ করে।
=== ওএসএসের ইতিহাস ===
ধারণা করা হয় যে UNIVAC ('ইউনিভার্সাল অটোমেটিক কম্পিউটার'-এর সংক্ষিপ্ত রূপ) প্রথম ওপেন সোর্স সফটওয়্যার, 'A-2 সিস্টেম' তৈরি করেছিল। এটি ১৯৫৩ সালে তৈরি করা হয়েছিল এবং সেই বছরের শেষ নাগাদ বিতরণ করা হয়েছিল। পণ্যটিতে সোর্স কোডও অন্তর্ভুক্ত ছিল যা ব্যবহারকারীদের প্রদান করা হয়েছিল যাতে তারা (যদি তারা ইচ্ছা করে) পণ্যের উন্নত সংস্করণগুলো UNIVAC-তে ফেরত পাঠাতে পারে <ref>Peter Cohan. (2009). Back to the 1970s: IBM in mainframe antitrust suit again. Retrieved march/3rd, 2016, from http://www.dailyfinance.com/2009/10/09/back-to-the-1970s-ibm-in-mainframe-antitrust-suit-again/</ref> ১৯৬০-এর দশকের আগের যুগে এটা বলা নিরাপদ ছিল যে বেশিরভাগ প্রোগ্রাম বিনামূল্যে ছিল। তবে এগুলো বিনামূল্যে ছিল না কারণ সফটওয়্যার ডেভেলপাররা গ্রাহকদের বাগ ঠিক করতে এবং পণ্যের উন্নতি ফেরত পাঠাতে সাহায্য করার ধারণাটি পছন্দ করেছিলেন যাতে পণ্যটি আরও ভালোভাবে তৈরি করা যায় (যদিও ইউনিভ্যাকের A-2 সিস্টেমটি এর দ্বারা চালিত হয়েছিল) কিন্তু কারণ সেই সময়ে প্রযুক্তি ছিল ভীতিকর এবং খুবই ভয়ঙ্কর। এর আংশিক কারণ ছিল সেই সময়ে সায়েন্স ফিকশন সিনেমার প্রযোজনাগুলোকে ভৌতিক হিসেবে দেখা হত। মানুষের মনে একটা বিরাট ভয় ছিল,যদি কোম্পানিগুলো তাদের কাজের ব্যাপারে স্বচ্ছ না হয়, তাহলে মানুষ পেছনের দরজা দিয়ে বেরিয়ে যাবে, ফলে হ্যাক করা সহজ হবে।
সময়ের সাথে সাথে প্রযুক্তি অনেক উন্নত হতে শুরু করে, এর ফলে প্রতিযোগীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পায় এবং দামও বৃদ্ধি পায়। তবে প্রতিযোগীদের সংখ্যা বৃদ্ধির অর্থ হলো নোংরা কৌশলের প্রবর্তন। এই বাজারটি একসময় একটি অলিগোপলি ছিল এবং আইবিএমের মতো কোম্পানিগুলো এটিকে এভাবেই রাখতে চাইত। ১৯৬৯ সালে কম্পিউটার বাজারের এই বৃহৎ খেলোয়াড়টির বিরুদ্ধে প্রতিযোগিতামূলক মূল্য নির্ধারণের জন্য একটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। <ref>Hopper, Grace. "Keynote Address". Proceedings of the ACM SIGPLAN History of Programming Languages (HOPL) conference</ref>
=== ওএসএস-এর সমালোচনা ===
সময়ের সাথে সাথে OSS মালিকানাধীন সফটওয়্যারের চেয়ে বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এর মূল কারণ হলো এটি বিনামূল্যে, যেখানে মালিকানাধীন সফটওয়্যারের জন্য মানুষকে অর্থ প্রদান করতে হয়। তবে এটি একটি অলাভজনক সম্প্রদায় দ্বারা তৈরি হওয়ায় এর বেশ কিছু অসুবিধা রয়েছে। মালিকানাধীন সফটওয়্যারের তুলনায় OSS ব্যবহারের অনেক সুবিধা রয়েছে। ব্যবসার জন্য প্রধান সুবিধা হলো ওপেন সোর্স হলো বাজারে প্রবেশের ক্ষেত্রে ব্যবসার জন্য আরও বেশি সাফল্য অর্জনের একটি ভালো উপায়। যখন কোনও কোম্পানি OSS ব্যবহারের পরিকল্পনা করে, তখন তারা এমন পণ্য প্রতিষ্ঠা করতে পারে যা নির্ভরযোগ্য, উচ্চমানের এবং শিল্পের মানদণ্ডের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ, যার অর্থ তারা প্রতিদ্বন্দ্বী কোম্পানিগুলোর উপর এগিয়ে থাকতে পারে। এটিকে আরও নির্ভরযোগ্য বলে মনে করা হয় কারণ এতে অনেক স্বাধীন প্রোগ্রামার (যেমন লিনাক্স) সহযোগিতা করতে পারে এবং সাধারণ প্রকাশের আগে এর বাগ এবং সমস্যাগুলো খুঁজে বের করতে পারে। রেনল্ডস, <ref>Carl; Jeremy Wyatt (February 2011). "Open Source, Open Standards, and Health Care Information Systems". JMIR 13. doi:10.2196/jmir.1521</ref> OSS এর আরেকটি সুবিধা এবং অনেক নতুন প্রযুক্তি সংস্থা এটি ব্যবহারের অন্যতম কারণ হলো এটি সস্তা এবং ব্যবহার করা সহজ। মালিকানাধীন সফটওয়্যারের বিপরীতে যেখানে ব্যয়বহুল গবেষণা এবং উন্নয়ন করতে হয়।
OSS ব্যবহারের ফলে একটি কোম্পানি তাদের ব্যবহৃত প্রযুক্তির সাথে আরও নমনীয় হতে পারে। এর ফলে একটি ব্যবসা বাজারে দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানাতে পারে এবং দ্রুত উদ্ভাবন অর্জন করতে পারে। এটি একটি ক্রমাগত অগ্রগতিশীল প্রযুক্তিগত বিশ্বে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। OSS কৌশল ব্যবহারের মাধ্যমে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান অ্যাপল এবং মাইক্রোসফটের মতো বৃহৎ কোম্পানির বিরুদ্ধে সুযোগ পায় কারণ এটি সস্তা। <ref>Sharma, Srinarayan; Vijayan Sugumaran; Balaji Rajagopalan (2002). "A framework for creating hybrid-open source software communities"</ref> OSS-এর আরেকটি সুবিধা হলো, সফটওয়্যারের ডেভেলপাররা তাদের নিজস্ব সফটওয়্যারের মতো ক্ষমতায়িত বোধ করবে, যার অর্থ তারা আরও ভালোভাবে তৈরি পণ্য তৈরি করবে কারণ একজন কর্মী তাদের নিজস্ব তৈরিতে কাজ করার জন্য আরও বেশি অনুপ্রাণিত বোধ করবে। এই মালিকানার বোধের কারণে পণ্য এবং কোম্পানির প্রতি আনুগত্য তৈরি হয়। OSS ব্যবহারকারীদের যদি দক্ষ এবং কম্পিউটারে দক্ষ হন, তাহলে বিরক্তিকর বাগ ঠিক করার জন্য পরবর্তী প্যাচের জন্য অপেক্ষা করতে হবে না।
সামগ্রিকভাবে, OSS ব্যবহার আপনার ব্র্যান্ড এবং এর অর্থ কী তা সংজ্ঞায়িত করতে সাহায্য করে। OSS কে ব্র্যান্ডগুলোর জন্য একটি ইতিবাচক ভাবমূর্তি হিসেবে দেখা হয় কারণ এটি ভেন্ডর লক-ইন (যা মালিকানাধীন লক-ইন নামেও পরিচিত) বা প্যাচের জন্য চার্জিংয়ের ধারণার বিরুদ্ধে দাঁড়ায়। যেসব কোম্পানি OSS ব্যবহার করে তারা সাধারণত ব্যবসায়িক পরিভাষা 'কাইজেন' (ক্রমাগত উন্নতি) তে বিশ্বাস করে, যার অর্থ তারা সর্বদা তাদের মূল্যবান গ্রাহকের কাছে আরও ভালো পণ্য সরবরাহ করতে চায়। এটি এই ধারণার প্রতিনিধিত্ব করে যে প্রযুক্তি মুক্ত হওয়া উচিত। আমাদের সবসময় প্রিমিয়াম মূল্য পরিশোধ করতে হবে না।
বেশিরভাগ জিনিসের মতো অনেক দুর্দান্ত সুবিধার সাথে সাথে কিছু অসুবিধাও থাকতে হবে এবং OSSও এর থেকে আলাদা নয়। গ্রাহকদের চাহিদা শোনার জন্য ডেভেলপারদের উপর বাণিজ্যিক চাপের অভাব রয়েছে। এর অর্থ হলো তারা এমন সফটওয়্যার তৈরি করবে যা গ্রাহকদের চেয়ে তাদের চাহিদা অনুসারে তৈরি করা হবে। পণ্যের গুণমান এতে কাজ করা প্রোগ্রামারদের ধরণের দ্বারাও প্রভাবিত হতে পারে। কারণ OSS-এর সাফল্য অনেকটাই দলীয় কাজের উপর নির্ভর করে। সফটওয়্যারটিতে কাজ করা কিছু প্রোগ্রামারের বিভিন্ন লক্ষ্য থাকতে পারে, সফটওয়্যার সম্পর্কে ধারণা থাকতে পারে যা একে অপরের সাথে সাংঘর্ষিক হতে পারে। ইজেল এবং সোর্সএক্সচেঞ্জের মতো বেশ কয়েকটি ওএসএস প্রকল্পে এটি ঘটেছে। <ref>Sharma, Srinarayan; Vijayan Sugumaran; Balaji Rajagopalan (2002). "A framework for creating hybrid-open source software communities"</ref> বড় কোম্পানিগুলো ওপেন সোর্স সফটওয়্যার ব্যবহার না করার একটি প্রধান কারণ হলো নিরাপত্তা ঝুঁকি। সোর্স কোড দেখানো হলে নিরাপত্তার দুর্বলতা দেখা যাবে যা ত্রুটি খুঁজে বের করা সহজ করে তুলতে পারে। বৃহৎ পরিসরে OSS প্রকল্পের ক্ষেত্রে এটি তেমন একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়, তবে একক ব্যক্তির প্রকল্পের ক্ষেত্রে বড় ধরনের নিরাপত্তা ঝুঁকি থাকতে পারে।
ওপেন সোর্স ব্যবহারের ফলে একই ধরণের জিনিসের ক্লোন তৈরি হয়। এর একটি ভালো উদাহরণ হলো মোবাইল গেম ফ্ল্যাপি বার্ড। যখন এটি সফল হয়, তখন আমরা অ্যান্ড্রয়েডে অনেক অনুরূপ কপি দেখতে পাই। যেখানে ক্লোজড সোর্স সফটওয়্যারের তাদের সফটওয়্যারে কী লাগানো হবে তার উপর বেশি নিয়ন্ত্রণ থাকে <ref>Joab Jackson. Open source vs. proprietary software. Retrieved March/4th, 2016, from http://www.pcworld.com/article/243136/open_source_vs_proprietary_software.html</ref> এর ফলে অনেক OSS প্রকল্প ক্লোন করা হয়। এর ফলে গ্রাহক নিম্নমানের সফটওয়্যারের চাপে পড়ে যান এবং ভালো সফটওয়্যার থেকে বঞ্চিত হন।
ডেভেলপাররা এতে যোগ এবং পরিবর্তন করার সাথে সাথে OSS বাস্তব সময়ে বিকশিত হতে থাকে, যার অর্থ এটি আরও উন্নত মানের হতে পারে। OSS এর সাথে সম্পর্কিত একটি সাধারণ ভুল ধারণা হলো যে এটি মালিকানাধীন সিস্টেমের তুলনায় বেশি নিরাপদ এবং ভাইরাসের ঝুঁকি কম কারণ এর বিপুল সংখ্যক ব্যবহারকারী রয়েছে যারা যেকোনো সমস্যা সমাধানের জন্য সেখানে উপস্থিত থাকে। যদিও এটি সত্য হতে পারে, তবে এটি অগত্যা এটিকে সহজাতভাবে নিরাপদ করে তোলে না। লোকেরা কোডটি দেখে। এর ফলে নিরাপত্তার দুর্বলতাগুলো সহজেই ধরা পড়ে। OSS নিরাপত্তার উপর একটি তদন্তে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে যে OSS কোডকে দৃশ্যমান করে তোলে, তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই, উৎস দৃশ্যমানতা একটি নির্দিষ্ট প্রকল্পের জন্য সৃষ্ট সামগ্রিক নিরাপত্তা ঝুঁকি বাড়াতে খুব কমই সাহায্য করে। নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা জানিয়েছেন,বেশিরভাগ পরিস্থিতিতে, উৎসের দৃশ্যমানতা প্রকল্পের স্থিতিশীলতা এবং নিরাপদ অবস্থার সম্মতিতেও সহায়তা করতে পারে।
<u>সফটওয়্যার</u> সবকিছুই একটি একক অপারেটিং সিস্টেম ইউনিক্স থেকে আসে, মূলত এটি IOS10 সহ ম্যাকের IOS সিস্টেমের ভিত্তি স্থাপন করে। এটি মূলত কোড লেখার পরিবর্তে একটি আগে থেকে তৈরি অপারেটিং সিস্টেম। যদিও এটি প্রায় প্রতিটি অপারেটিং সিস্টেমের ভিত্তি তৈরি করে, এটি খুবই 'বন্ধ'। কিন্তু এটি এই তত্ত্বের পরিপন্থী যে সবাই চায় সবকিছু উন্মুক্ত থাকুক এবং ভাগ করে নেওয়া হোক যাতে আপনি আপনার চাহিদা অনুযায়ী সফটওয়্যারটি সম্পাদনা এবং তৈরি করতে পারেন।
সহজ কথা হলো, সকলেই তাদের চাহিদা অনুযায়ী সফটওয়্যার সম্পাদনা এবং পরিচালনা করতে চায় না। এটা তাদের জন্য খুব জটিল হতে পারে অথবা তারা হয়তো আগ্রহী নাও হতে পারে। কিছু ব্যক্তি কেবল একটি সাধারণ কাজের জন্য কম্পিউটার ব্যবহার করতে চান এবং লগ ইন এবং CLU ব্যবহারের ঝামেলা মোকাবেলা করতে চান না। এই ক্ষেত্রে একটি GUI, গ্রাফিক্যাল ইউজার ইন্টারফেসই যথেষ্ট। এটি দ্রুত, সহজ এবং ব্যবহার করা সহজ। ব্যবহারকারী কী চায় তা আপনাকে বিবেচনা করতে হবে। তারা কি অফুরন্ত কোডিং চায় নাকি মেকানিক্স চায়, তবে কি এটা উন্মুক্ত নাকি বাণিজ্যিকীকরণ করা হবে?
== মালিকানাধীন সফটওয়্যার ==
=== ভূমিকা ===
মালিকানাধীন সফটওয়্যার হলো এমন সফটওয়্যার যা আইনত সম্পূর্ণরূপে এর স্রষ্টা বা স্রষ্টাদের মালিকানাধীন। সাধারণত, মালিকানাধীন সফটওয়্যারের সোর্স কোড দেখার ক্ষমতা এবং এর পরিবর্তনের উপর খুব কঠোর বিধিনিষেধ থাকে। এই সীমাবদ্ধতার কারণে, ব্যবহারকারীর প্রয়োজন অনুসারে প্রোগ্রামটি পরিবর্তন বা সংশোধন করার ক্ষমতা সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ। এই ধরণের সফটওয়্যার (যদিও কখনও কখনও বিনামূল্যে) সাধারণত শুধুমাত্র একটি ফি দিয়ে পাওয়া যায় এবং শুধুমাত্র লাইসেন্সপ্রাপ্ত কী হোল্ডাররা এর উদ্দেশ্যে সফটওয়্যারটি ব্যবহার করতে পারেন।
মালিকানাধীন সফটওয়্যার লাইসেন্স এবং লাইসেন্স চুক্তির মাধ্যমে ব্যবহৃত হয়। ডগলাস ই ফিলিপস তার "সফটওয়্যার লাইসেন্স উন্মোচিত" বইতে রূপরেখা দিয়েছেন : লাইসেন্স আইন কীভাবে সফটওয়্যার প্রাপ্যতা নিয়ন্ত্রণ করে", <ref>Phillips, DE 2009, Software License Unveiled : How Legislation by License Controls Software Access, Oxford University Press, USA, Cary, NC, USA. Available from: ProQuest ebrary. [6 March 2016].</ref> সমস্ত ব্যবহারকারী লাইসেন্স চুক্তি অনুসরণ করে এমন নির্দিষ্ট নির্দেশিকা।
এর মধ্যে রয়েছে:- "আপনি হয়তো ভেবেছেন যে আপনি কিছু কিনেছেন। কিন্তু আপনি তা করেননি। সফটওয়্যারটি লাইসেন্সপ্রাপ্ত, বিক্রি করা হয়নি।"
"আপনি এখন একটি সফটওয়্যার কোম্পানির সাথে একটি চুক্তির পক্ষ। লাইসেন্সটি আপনার এবং সফটওয়্যার প্রদানকারীর মধ্যে একটি আইনত বাধ্যতামূলক চুক্তি।"
"যদি এটি না বলে যে আপনি এটি করতে পারবেন, তাহলে আপনি পারবেন না। সফটওয়্যার প্রদানকারী আপনাকে সফটওয়্যারটি ব্যবহারের সুযোগ দেয়। কিন্তু আপনি এমন কিছু করতে পারবেন না যা লাইসেন্স স্পষ্টভাবে সুযোগ দেয় না। অবশ্যই, আপনাকে এমন কিছু করা থেকেও বিরত থাকতে হবে যা এটি স্পষ্টভাবে নিষিদ্ধ করে। উদাহরণস্বরূপ, আপনি একবারে একাধিক ব্যক্তিকে সফটওয়্যারটি ব্যবহার করতে দিতে পারবেন না; এটি পুনরায় বিক্রয় বা বিপরীত প্রকৌশলী করতে পারবেন; অথবা, যদি সফটওয়্যারটি একটি নির্দিষ্ট ধরণের শেষ ব্যবহারকারীর জন্য মনোনীত করা হয়, তাহলে সেই ধরণের শেষ ব্যবহারকারী না হয়ে এটি ব্যবহার করুন।"
"যদি আপনি এমন কিছু করেন যা এটি বলে না যে আপনি করতে পারবেন (অথবা বলে যে আপনি করতে পারবেন না), তাহলে আপনি সফটওয়্যারটি একেবারেই ব্যবহার করতে পারবেন না। সফটওয়্যারটি ব্যবহারের জন্য আপনার অনুমতি লাইসেন্স চুক্তির সমস্ত শর্তাবলী মেনে চলার উপর নির্ভরশীল, যার মধ্যে আপনার ব্যবহারকে সীমাবদ্ধ করে এমন সমস্ত শর্তাবলীও অন্তর্ভুক্ত। ফলস্বরূপ, যেকোনো শর্ত লঙ্ঘনের ফলে আপনার সমস্ত লাইসেন্স অধিকার নষ্ট হতে পারে এবং আপনি কেবল চুক্তি ভঙ্গকারীই নন, বরং কপিরাইট লঙ্ঘনকারীও হয়ে ওঠেন।"
"যদি সফটওয়্যার কোম্পানি কিছু করতে চায়, তাহলে তা করতে পারে। আপনি সফটওয়্যার প্রদানকারীকে সফটওয়্যারে পণ্য সক্রিয়করণ, পণ্য যাচাইকরণ এবং স্বয়ংক্রিয় আপডেট ফাংশন অন্তর্ভুক্ত করার জন্য নিঃশর্ত অনুমতি দেন। এই ফাংশনগুলো সফটওয়্যারে আপনার প্রাপ্যতাকে প্রভাবিত করতে পারে, এবং সম্ভাব্যভাবে আপনার কম্পিউটারে, এবং সফটওয়্যার এবং আপনার কম্পিউটার সম্পর্কে তথ্য সফটওয়্যার প্রদানকারীর কাছে প্রেরণ করতে পারে।"
"যদি সফটওয়্যারে কিছু ভুল হয়ে যায়, তাহলে তা ঠিক করার জন্য সফটওয়্যার কোম্পানির উপর নির্ভর করবেন না। আপনি সম্মত হন যে সফটওয়্যার সরবরাহকারী আপনাকে খুব কম বা কোনও ওয়ারেন্টি দেয় না এবং সফটওয়্যার ত্রুটির জন্য আপনার কাছে খুব কম বা কোনও দায়বদ্ধতা থাকবে না। আপনি আরও সম্মত হন যে সফটওয়্যার তৃতীয় পক্ষের অধিকার লঙ্ঘন করলে আপনার বিরুদ্ধে যে দাবি হতে পারে তার জন্য সফটওয়্যার সরবরাহকারী দায়ী থাকবে না।" (ফিলিপস, ২০০৯)
মুক্ত সফটওয়্যার আন্দোলন ১৯৮৩ সালে শুরু হয়েছিল। এর প্রবর্তনের পর একদল ব্যক্তি "মুক্ত সফটওয়্যার" শব্দটিকে ওপেন সোর্স সফটওয়্যার (OSS) দ্বারা প্রতিস্থাপন করার পক্ষে মত প্রকাশ করেন। এটি কর্পোরেট জগতের ক্ষেত্রে আরও সুবিধাজনক। সফটওয়্যার ডেভেলপাররা তাদের সফটওয়্যারটি একটি ওপেন সোর্স লাইসেন্স কাঠামোর মধ্যে প্রকাশ করতে চাইতে পারেন যাতে যে কেউ একই সফটওয়্যারটি তৈরি করতে পারে অথবা এর অভ্যন্তরীণ কার্যকারিতা সম্পর্কে আরও ভালভাবে বুঝতে পারে। ওপেন সোর্স সফটওয়্যারের সাহায্যে, যে কেউ এতে পরিবর্তন আনতে, নতুন অপারেটিং সিস্টেম এবং প্রসেসর আর্কিটেকচারে পোর্ট করতে সক্ষম। এটি এটিকে অন্যদের সাথে ভাগ করে নেওয়ার বা কিছু ক্ষেত্রে বাজারজাত করার সুযোগ দেয়।
=== উদাহরণ ===
প্রোপ্রাইটি সফটওয়্যারের সবচেয়ে বেশি ব্যবহারকারীদের মধ্যে একটি হলো [https://www.microsoft.com/en-gb মাইক্রোসফট কর্পোরেশন] । [[উইন্ডোজ এক্সপি]] এবং [[উইন্ডোজ ৮|উইন্ডোজ ৮ এর]] মতো অপারেটিং সিস্টেম থেকে শুরু করে বিশ্বব্যাপী প্রভাবশালী [[মাইক্রোসফট অফিস]] প্রোগ্রাম পর্যন্ত প্রতিটি সফটওয়্যারই সুরক্ষার যথাযথ ব্যবস্থা ব্যবহার করে। মালিকানাধীন প্রোগ্রামগুলোর আরও উদাহরণগুলোর মধ্যে রয়েছে; [http://www.adobe.com/ অ্যাডোবি ফ্ল্যাশ প্লেয়ার], [[আইটিউন্স|আইটিউনস]] এবং [[ম্যাকওএস|ম্যাক ওএস এক্স]] ।
=== সুবিধা ===
মালিকানাধীন সফটওয়্যার ব্যবহারের সুবিধা এবং অসুবিধা উভয়ই রয়েছে। ওপেন সোর্স সফটওয়্যার সিস্টেমের পরিবর্তে মালিকানাধীন সফটওয়্যার সিস্টেম ব্যবহারের সুবিধা হলো যে পণ্যটি ব্যবহার করার সময় আপনার যে কোনও সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে তার জন্য অনেক বেশি নিবেদিতপ্রাণ সহায়তা রয়েছে। যেহেতু মালিকানাধীন সফটওয়্যারটি কোনও কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান দ্বারা তৈরি করা হয় এবং পণ্য হিসেবে বিক্রি করা হয়, তাই কোনও সমস্যা হলে বা সিস্টেম ইনস্টল/সেট আপ করার ক্ষেত্রে যদি তাদের সাহায্যের প্রয়োজন হয়, তাহলে গ্রাহকদের জন্য সর্বদা সহায়তা পাওয়া নিশ্চিত করা কোম্পানির স্বার্থে। এটি ওপেন সোর্স সফটওয়্যার থেকে আলাদা, যেখানে একটি কমিউনিটি সাপোর্ট সিস্টেম বেশি থাকে যেখানে সঠিক সমাধান খুঁজে না পাওয়া পর্যন্ত আপনাকে বিভিন্ন সমাধান অনুসন্ধান করতে হতে পারে। মালিকানাধীন সফটওয়্যার সাধারণত ব্যবসায়িক জগতের চাহিদা পূরণের জন্য এবং বাজারের চাহিদা পূরণের জন্য তৈরি করা হয়। এই কারণে, মালিকানাধীন সফটওয়্যারে প্রায়ই ওপেন সোর্স সফটওয়্যারের তুলনায় বেশি বৈশিষ্ট্য থাকে, উদাহরণস্বরূপ, ওয়ার্ড এবং এক্সেল সহ সমস্ত [[মাইক্রোসফট অফিস]] অ্যাপ্লিকেশনগুলোকে একই সাথে একই কাজে কাজ করার জন্য একসাথে লিঙ্ক করা যেতে পারে।
=== সমালোচনা ===
মালিকানাধীন সফটওয়্যারের একটি প্রধান সমালোচনা হলো যে এই ধরণের সফটওয়্যারের বেশিরভাগই কেবল ক্রয়ের মাধ্যমে পাওয়া যায়। এই ধরণের সফটওয়্যারের দামের পরিসর সস্তা থেকে শুরু করে খুব ব্যয়বহুল পর্যন্ত হতে পারে, উদাহরণস্বরূপ, [[উইন্ডোজ ১০|Windows ১০]] £২৯.৯৯ পর্যন্ত সস্তা হতে পারে। এটি [[অ্যাডোবি ফটোশপ|Adobe Photoshop]] এর মতো অন্যান্য প্রোগ্রামের দাম £২০০০ এ কেনা যাবে। দামের এই পরিসরটি সাধারণ ব্যবহারকারীর জন্য খুবই বিরক্তিকর হতে পারে কারণ একটি কম্পিউটার প্রোগ্রামের জন্য হাজার হাজার পাউন্ড খরচ করা খুবই অযৌক্তিক বলে মনে হয়। মালিকানাধীন সফটওয়্যারের আরও একটি সমালোচনা হলো এর সোর্স কোড দেখতে এবং প্রোগ্রামের কোডিং পরিবর্তন করতে না পারা। ব্যবসায়িক জগতে বিদ্যমান চাহিদা এবং প্রয়োজনীয়তা ক্রমাগত পরিবর্তিত হচ্ছে। এই ক্রমাগত পরিবর্তনশীল পরিবেশের সাথে, মালিকানাধীন সফটওয়্যার প্রায়ই তাদের গ্রাহকদের চাহিদার সাথে তাল মিলিয়ে চলতে পিছিয়ে পড়তে পারে। এটি ওপেন সোর্স সফটওয়্যারের বাজার উন্মুক্ত করে দেয় কারণ ব্যবহারকারীরা চাইলে তাদের উদ্দেশ্য অনুসারে সফটওয়্যারের কার্যকারিতা পরিবর্তন করতে পারেন। মালিকানাধীন সফটওয়্যারে কাস্টমাইজেশন এবং স্ব-উন্নতির অভাবের কারণেই অনেক মানুষ ওপেন সোর্স সিস্টেম ব্যবহার করতে পছন্দ করে।
=== ওপেন সফটওয়্যার বনাম মালিকানাধীন সফটওয়্যার ===
ওপেন সফটওয়্যার মূলত এমন একটি সফটওয়্যার যা সকলের জন্য বিনামূল্যে এবং প্রাপ্যতাযোগ্য। এটি তাদের চাহিদা পূরণের জন্য প্রোগ্রামটি পরিবর্তন করতে দেয়। এটি অনেক কম্পিউটিং ভক্তদের বিশ্বাস করা অনেক মূল থিম এবং ধারণার একটি অনুসরণ করে। তবে একটি খুব বড় নিরাপত্তা ঝুঁকি রয়েছে এবং ওপেন সফটওয়্যার ব্যবহার করার সময় অনেক লাইসেন্সিং আইন বিবেচনায় নিতে হয়। অন্যদিকে মালিকানাধীন সফটওয়্যার আছে যা অর্থায়ন করা হয় এবং আপনাকে এর জন্য অর্থ প্রদান করতে হবে। এর একটি গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ হলো উইন্ডোজ এক্সপি। প্রায়শই মালিকানাধীন সফটওয়্যার হ্যাকারদের তাদের সিস্টেমে থাকা যেকোনো ত্রুটি বা বাগ কাজে লাগাতে বলে। কিন্তু যখন সমস্যাটি শনাক্ত করা হয়, তখন প্রায়ই তারা এই সমস্যা সমাধানের জন্য কিছু করে না। কারণ এতে অন্যান্য পক্ষের আগ্রহ থাকে। ওপেন সফটওয়্যার খুবই উপকারী কারণ এটি একাধিক ব্যক্তিকে একই জিনিসে একসাথে কাজ করার সুযোগ দেয়, যেমন এই প্রকল্পটি। এটি খুবই কার্যকর, ব্যক্তিদের অন্যদের কাজ পর্যালোচনা করার সুযোগ করে দেওয়ার ফলে আরও সমস্যা চিহ্নিত এবং সমাধান করা হবে। ব্যবহারে খুবই উপকারী, ওপেন সফটওয়্যার আপনাকে একসাথে একাধিক ব্যবহারকারী রাখার সুযোগ দেয়, তবে এটির অপব্যবহার না করা গুরুত্বপূর্ণ। কোনও বাগ-মুক্ত সফটওয়্যার নেই, এটি ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং আরও ভালোর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। প্রোপ্রাইটারি সফটওয়্যারে CLI-এর বিপরীতে GUI এবং ইন্টারঅ্যাকশন বেশি থাকে। এটি সাধারণত ওপেন সফটওয়্যারের সাথে সম্পর্কিত। একটি GUI (গ্রাফিক্যাল ইউজার ইন্টারফেস) মূলত ছবির একটি সিরিজ, একটি মেনু। এটি দ্রুত এবং সহজেই ঘুরে দেখা যায় এবং ব্যবহার করা যায়। এটি এমন ব্যবহারকারীদের জন্য খুবই উপকারী যারা কম্পিউটার শিক্ষিত নন এবং কেবল দ্রুত প্রযুক্তি ব্যবহার করতে চান।
== ওপেন সোর্স এবং মালিকানাধীন সফটওয়্যারের ভবিষ্যৎ ==
ওপেন সোর্স পূর্ব-বিদ্যমান নকশা এবং ব্লুপ্রিন্টের পরিবর্তন এবং পুনর্বণ্টনকে সর্বজনীনভাবে অবাধে উপলব্ধ করার সুযোগ দেয়। প্রোগ্রামিংয়ের ক্ষেত্রে ওপেন সোর্সের ভবিষ্যৎ নিঃসন্দেহে অনেক প্রোগ্রামার এবং ব্যবসার দ্বারা ব্যবহৃত হতে থাকবে। [http://www.zdnet.com/ ZDNet] দ্বারা পরিচালিত একটি জরিপে দেখা গেছে, ৭৮% কোম্পানি তাদের অনুশীলনে ওপেন সোর্স সফটওয়্যার ব্যবহারের সাথে খাপ খাইয়ে নিয়েছে। এটি একটি স্মরণীয় পদক্ষেপ কারণ ২০১০ সালে "ওপেন সোর্সের ভবিষ্যৎ" জরিপের প্রতিক্রিয়ায়, মাত্র ৪২% কোম্পানি বলেছিল যে তারা OSS ব্যবহার করে। ৯৩% বলেছেন যে গত বছর ধরে ওপেন সোর্সের ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়েছে অথবা স্থির রয়ে গেছে। বর্তমানে, ৬৪% কর্পোরেশন ওপেন সোর্স প্রকল্পে অংশগ্রহণ করে - যা ২০১৪ সালের তুলনায় ১৪% বেশি। ওপেন সোর্স প্রকল্পে কোম্পানিগুলোর সম্পৃক্ততার অদূর ভবিষ্যতের পূর্বাভাস ৮৮%-এ উন্নীত হবে বলে আশা করা হচ্ছে <ref>http://www.zdnet.com/article/its-an-open-source-world-78-percent-of-companies-run-open-source-software/</ref>
একজন প্রোগ্রামার হিসেবে ওপেন সোর্স সফটওয়্যারের ভবিষ্যৎ ইতিমধ্যেই তাদের দৈনন্দিন জীবনের অংশ। একজন আধুনিক প্রোগ্রামার হিসেবে, আপনার বর্তমান প্রকল্পগুলোর বেশিরভাগই ইতিমধ্যেই অন্যান্য প্রোগ্রামাররা তাদের বিনামূল্যে উপলব্ধ কোড Github-এর মতো ওয়েবসাইটে রেখে সম্পন্ন করেছেন। এর ফলে ব্যবহারকারীরা এই ওপেন সোর্স প্রকল্পগুলো ডাউনলোড এবং শেয়ার করতে পারবেন। <ref>https://github.com/github</ref> আজকাল প্রোগ্রামাররা ইতিমধ্যেই করা কোড পুনরায় লিখতে চান না। অদূর ভবিষ্যতে, প্রোগ্রামাররা কেবল ওপেন সোর্স কোডের কিছু অংশ নেবে এবং সেই প্রকল্পটিকে আরও অনেকের সাথে একত্রিত করে একটি চূড়ান্ত প্রকল্প তৈরি করবে। এটি বিভিন্ন দক্ষতা স্তরের প্রোগ্রামারদের এই ওপেন সোর্স প্রকল্পগুলো বুঝতে এবং বাস্তবায়ন করতে সাহায্য করে, এছাড়াও প্রোগ্রামারদের একটি প্রকল্প সম্পূর্ণ করার জন্য সময় এবং অর্থ সাশ্রয় করে।
ওপেন সোর্স সফটওয়্যারের ভবিষ্যৎ আমাদের সমাজের প্রযুক্তির অগ্রগতির উপর নাটকীয় প্রভাব ফেলবে। এর একটি উদাহরণ হতে পারে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি হেডসেট, ওকুলাস রিফট। এই হেডসেটের সম্পূর্ণ সোর্স কোড ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে জনসাধারণের জন্য প্রকাশ করা হয়েছিল। <ref>http://www.forbes.com/sites/jasonevangelho/2014/01/10/rumor-oculus-rift-will-launch-summer-2014-for-less-than-499/#fe6788046985</ref> এই হেডসেটটি সম্পূর্ণরূপে ওপেন সোর্স হওয়ার পর এই পণ্যটির অগ্রগতি অসাধারণ। ২০১৪ সালে ওকুলাস রিফটসের সোর্স কোড প্রকাশের পর এটি স্যামসাং গিয়ার ভার্চুয়াল রিয়েলিটি হেডসেটের মতো নতুন ভার্চুয়াল রিয়েলিটি হেডসেটগুলো বুঝতে এবং তৈরি করতে সহায়তা করেছে। <ref>http://www.samsung.com/uk/consumer/mobile-devices/wearables/gear/SM-R320NPWABTU</ref>
বিল গেটস ১৯৯৪ সালের পর জন্মগ্রহণকারী শিশুদের ইন্টারনেটের সাথে বেড়ে ওঠা প্রথম প্রজন্ম হিসেবে উল্লেখ করেছেন। ১০-১২ বছর বয়সী ৯০% শিশু অনলাইন গেম খেলে। <ref>https://hbr.org/2012/04/the-mobile-re-generation</ref> যেহেতু এই শিশুদের মধ্যে প্রযুক্তি তাদের জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ, তাই এখন অনেক স্কুলে প্রোগ্রামিং শেখানো হচ্ছে। শিশুদের প্রোগ্রামিং দক্ষতা বিকাশের জন্য এখন প্রোগ্রামিং ক্লাব প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। <ref>http://coderdojostirling.com/</ref> এর থেকে বোঝা যায়,প্রযুক্তির ব্যবহার বছরের পর বছর ধরে বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে ওপেন সোর্সের ব্যবহারও বৃদ্ধি পাবে। সকল বয়সের শিশুরা তাদের নিজস্ব আনন্দের জন্য প্রকল্পগুলো সম্পন্ন করার জন্য ওপেন সোর্স সফটওয়্যার ব্যবহার করে। এখন স্কুলে শিশুরা প্রোগ্রামিং শিখছে, তাই অনলাইন ইন্টারেক্টিভ প্রোগ্রামিং ক্লাসগুলো ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। <ref>https://www.codecademy.com/learn</ref> বেশিরভাগ মানুষের কাছে ইন্টারনেট সহজলভ্য হওয়ার সাথে সাথে, এই ইন্টারেক্টিভ প্রোগ্রামিং ক্লাসের ব্যবহার ক্রমশ বৃদ্ধি পাবে। এর অর্থ হলো, যত বেশি মানুষ প্রোগ্রামিং শিখবে, ওপেন সোর্সের ব্যবহার তত বাড়বে।
'ওপেন সোর্স গ্রাহক এবং ব্যবসার মধ্যে স্বাধীনতা প্রদান করে', <ref>http://open-source.gbdirect.co.uk/migration/benefit.html#flexibilityfreedom</ref> কিছু মালিকানাধীন সফটওয়্যার নমনীয় বলে দাবি করে কিন্তু নমনীয়তা সৃজনশীলতাকে বোঝায় এবং ওপেন সোর্স সফটওয়্যার ব্যবহারের মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা কোনও সীমা ছাড়াই তাদের নিজস্ব প্রয়োজনের জন্য নিজস্ব সফটওয়্যার তৈরি করতে পারে। ওপেন সোর্স সফটওয়্যার ব্যবহারকারীদের নিয়ন্ত্রণে থাকতে, তাদের নিজস্ব সিদ্ধান্ত নিতে এবং তারা যা চায় তা করতে সাহায্য করে। <ref>http://www.pcworld.com/article/209891/10_reasons_open_source_is_good_for_business.html</ref> আজকাল মানুষ জানে তারা কী চায় এবং কীভাবে তারা কাজ করতে চায়, এবং প্রযুক্তি আমাদের জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে ওঠার সাথে সাথে ওপেন সোর্স সফটওয়্যারের ব্যবহারও বৃদ্ধি পাবে।
মানুষ এমন ব্যক্তি যারা নিজের সিদ্ধান্ত নিতে এবং স্বাধীনভাবে কাজ করতে পছন্দ করে এবং ওপেন সোর্স এই ধারণাকে সম্পূর্ণরূপে সমর্থন করে। ওপেন সোর্সের ভবিষ্যৎ খুবই ইতিবাচক দেখাচ্ছে; বর্তমানে এটি ইতিমধ্যেই প্রযুক্তিগত জীবনযাত্রার একটি সমন্বিত অংশ। সাধারণত, আজকাল উৎপাদিত প্রতিটি সফটওয়্যারের উন্নয়নে ওপেন সোর্স সফটওয়্যার ব্যবহার করা হয়। বছরের পর বছর ধরে প্রযুক্তিগত অগ্রগতি ওপেন সোর্স সফটওয়্যার ব্যবহারের দ্বারা ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হয়েছে। কারণ প্রতিটি প্রোগ্রামারের হাতে বিশাল ডেভেলপার রয়েছে। এছাড়াও ১৯৯৪ সালের পরে জন্ম নেওয়া শিশুদের দৈনন্দিন জীবনে এখন প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু হয়েছে, তাদের ছোটবেলা থেকেই প্রোগ্রামিং শেখানো হচ্ছে এবং ব্যক্তিরা অনলাইনে ইন্টারেক্টিভ প্রোগ্রামিং ক্লাসেও অংশগ্রহণ করছে। প্রযুক্তির ক্রমাগত অগ্রগতি এবং ব্যবহারের সাথে সাথে এটি অনিবার্য যে সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্টের ক্ষেত্রে ওপেন সোর্স ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হবে কারণ এর অনেক সুবিধা রয়েছে। ভবিষ্যতেও ওপেন সোর্স ব্যবহার অব্যাহত থাকবে, তবে ওপেন সোর্স ইতিমধ্যেই প্রযুক্তিগত উন্নয়নের একটি সমন্বিত অংশ। '''ভবিষ্যৎ এখানেই।'''
== শব্দকোষ ==
== শব্দকোষ ==
সমস্ত শর্তাবলী ইন্টারনেট অফ এভরিথিংয়ের উপরের অধ্যায় থেকে নেওয়া হয়েছে। সমস্ত সংজ্ঞা উইকিপিডিয়া এবং অক্সফোর্ড অভিধান থেকে নেওয়া হয়েছে।
4Chan 4chan একটি ইংরেজি ভাষার ইমেজ বোর্ড ওয়েবসাইট। ব্যবহারকারীরা সাধারণত বেনামে পোস্ট করেন, সাম্প্রতিকতম পোস্টগুলি বাকিগুলির উপরে প্রদর্শিত হয়। 4chan তাদের নিজস্ব নির্দিষ্ট সামগ্রী এবং নির্দেশিকা সহ বিভিন্ন বোর্ডে বিভক্ত। রেজিস্ট্রেশনের প্রয়োজন হয় না, বা এটি সম্ভব নয় (স্টাফ ব্যতীত)।
অ্যান্ড্রয়েড একটি অপারেটিং সিস্টেমের নাম, প্রধানত ম্যাক নয় এমন ডিভাইসগুলিতে ব্যবহৃত হয়।
অনামী অ্যানোনিমাস অ্যাক্টিভিস্ট এবং হ্যাক্টিভিস্ট সত্তাগুলির একটি আলগাভাবে যুক্ত আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক। এই গোষ্ঠীর সাথে নামমাত্র যুক্ত একটি ওয়েবসাইট এটিকে "একটি ইন্টারনেট সমাবেশ" হিসাবে বর্ণনা করে "একটি খুব আলগা এবং বিকেন্দ্রীভূত কমান্ড কাঠামো যা নির্দেশের পরিবর্তে ধারণার উপর কাজ করে"
লেখক লেখার পেশা, লেখার উৎস (লেখক হিসাবে) লেখা, সঙ্গীত বা শিল্পের একটি অংশ।
ক্রিয়েটিভ কমন্স ক্রিয়েটিভ কমন্স একটি অলাভজনক সংস্থা যা বিনামূল্যে আইনি সরঞ্জামগুলির মাধ্যমে সৃজনশীলতা এবং জ্ঞান ভাগ করে নেওয়া এবং ব্যবহার সক্ষম করে।
জ্ঞানীয় লোড ওয়ার্কিং মেমরিতে ব্যবহৃত মানসিক প্রচেষ্টার পরিমাণ।
কাস্টমাইজেবিলিটি আপনাকে আপনার প্রয়োজন অনুসারে কিছু কাস্টমাইজ এবং সম্পাদনা করার অনুমতি দেওয়ার কাজ।
ডারউইন ওপেন সোর্স ইউনিক্স অপারেটিং সিস্টেম যা অ্যাপল দ্বারা নির্মিত এবং ২০০০ সালে মুক্তি পায়।
বিকেন্দ্রীকরণ একটি কেন্দ্রীয় অবস্থান বা কর্তৃপক্ষ থেকে দূরে ফাংশন, ক্ষমতা, মানুষ বা জিনিস পুনরায় বিতরণ বা ছড়িয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া।
ডিজিটাল রাইটস ম্যানেজমেন্ট (DRM) বিভিন্ন প্রাপ্যতা কন্ট্রোল প্রযুক্তি যা মালিকানাধীন হার্ডওয়্যার এবং কপিরাইটযুক্ত কাজগুলির ব্যবহার সীমাবদ্ধ করতে ব্যবহৃত হয়।
একটি নির্দিষ্ট শাসক বা সরকার দ্বারা মালিকানাধীন বা নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলের একটি এলাকা ডোমেন
গুটেনবার্গ ছাপাখানার স্রষ্টা।
হ্যাকার একজন ব্যক্তি যিনি ডেটাতে অননুমোদিত প্রাপ্যতা অর্জনের জন্য কম্পিউটার ব্যবহার করেন।
হ্যাক্টিভিজম হ্যাক্টিভিজম হ'ল রাজনৈতিক বা সামাজিকভাবে অনুপ্রাণিত উদ্দেশ্যে হ্যাকিং বা কম্পিউটার সিস্টেমে প্রবেশ করার কাজ। যে ব্যক্তি হ্যাক্টিভিজমের কাজ করে তাকে হ্যাক্টিভিস্ট বলা হয়।
হার্ডওয়্যার বস্তু যা বাস্তব। এটি আপনি শারীরিকভাবে স্পর্শ করতে এবং সরাতে পারেন। কম্পিউটার হার্ডওয়্যার স্পিকার, কীবোর্ড ইত্যাদি নিয়ে গঠিত।
ল্যাম্প একটি অ্যাব্রেভিয়েশন যা একটি কম্পিউটারের অপারেটিং সিস্টেমকে কভার করে। লিনাক্স, অ্যাপাচি, মাইএসকিউএল, পিএইচপি।
লিনাক্স সফটওয়্যারটির একটি অংশ যা ওপেন সোর্স এবং আপনাকে নিজের অপারেটিং সিস্টেমটি সম্পূর্ণ করতে এবং লিখতে সক্ষম করে। অপারেটিং সিস্টেম ইউনিক্সের ভিত্তি ব্যবহার করে।
মেমস একটি প্রযুক্তি যা তার সবচেয়ে সাধারণ আকারে ক্ষুদ্র যান্ত্রিক এবং ইলেক্ট্রো-মেকানিক্যাল উপাদান (যেমন, ডিভাইস এবং কাঠামো) হিসাবে সংজ্ঞায়িত করা যেতে পারে যা কৌশলগুলি ব্যবহার করে তৈরি করা হয় মাইক্রো ফ্যাব্রিকেশন।
মাইক্রোসফট অফিস মাইক্রোসফট অফিস সিস্টেম মাইক্রোসফট দ্বারা তৈরি কম্পিউটার প্রোগ্রামগুলির একটি সংগ্রহ। প্রোগ্রাম সব ব্যবহারকারীর জন্য তৈরি করা হয়। হোম ব্যবহারকারীদের জন্য এবং ব্যবসায়িক ব্যবহারকারীদের জন্য সফটওয়্যারটির বিভিন্ন সংস্করণ রয়েছে।
নাসা ন্যাশনাল অ্যারোনটিক্স অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন।
ই এম এর নির্মাতারা যারা নিজের নামে এবং ব্র্যান্ডিংয়ের অধীনে অন্য সংস্থার পণ্য পুনরায় বিক্রয় করে।
ওপেন অফিস একটি ওপেন সোর্স অফিস প্রোডাক্টিভিটি স্যুট। সফটওয়্যার মাইক্রোসফট উইন্ডোজ, অ্যাপল ম্যাকস এবং লিনাক্স সহ সমস্ত প্রধান অপারেটিং সিস্টেমের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
ওপেন সোর্স এমন সফটওয়্যার নির্দেশ করা যার জন্য মূল উত্স কোডটি বিনামূল্যে উপলব্ধ করা হয়েছে এবং পুনরায় বিতরণ এবং সংশোধন করা যেতে পারে।
মেরুকরণ সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে (একটি ট্রান্সভার্স তরঙ্গ, বিশেষত আলো) এর কম্পনকে এক দিকে সীমাবদ্ধ করুন।
গোপনীয়তা এমন একটি রাষ্ট্র যেখানে কেউ অন্য লোকেদের দ্বারা পর্যবেক্ষণ বা বিরক্ত হয় না।
মালিকানা সফটওয়্যার যা কোনও ব্যক্তি বা সংস্থার মালিকানাধীন (সাধারণত এটি বিকাশকারী)। এর ব্যবহারের উপর প্রায় সর্বদা বড় বিধিনিষেধ রয়েছে এবং এর উত্স কোডটি প্রায় সর্বদা গোপন রাখা হয়।
সার্ভার একটি কম্পিউটার বা কম্পিউটার প্রোগ্রাম যা একটি নেটওয়ার্কে একটি কেন্দ্রীভূত সম্পদ বা পরিষেবা প্রাপ্যতা পরিচালনা করে।
সফটওয়্যার একটি কম্পিউটার দ্বারা ব্যবহৃত প্রোগ্রাম এবং অন্যান্য অপারেটিং তথ্য।
সিস্টেম একটি প্রক্রিয়া বা একটি আন্তঃসংযোগকারী নেটওয়ার্কের অংশ হিসাবে একসাথে কাজ করা জিনিসগুলির একটি সেট; একটি জটিল সমগ্র।
টেলিটেক্সট পাঠ্য এবং গ্রাফিক্স আকারে একটি সংবাদ এবং তথ্য পরিষেবা, উপযুক্ত রিসিভার সহ টেলিভিশনগুলিতে বিদ্যমান টেলিভিশন চ্যানেলগুলির অতিরিক্ত ক্ষমতা ব্যবহার করে প্রেরণ করা হয়।
gdu6r3zv8itgap91p15pahdt0eemgdy
85827
85826
2025-07-08T08:57:24Z
MS Sakib
6561
[[সাহায্য:স্বয়ংক্রিয় সম্পাদনা সারাংশ|←]] [[Special:Contributions/MS Sakib|MS Sakib]] ([[User talk:MS Sakib|আলাপ]])-এর সম্পাদিত 85826 নম্বর সংশোধনটি বাতিল করা হয়েছে
85827
wikitext
text/x-wiki
= উন্মুক্ত উৎসের ও মালিকানাধীন প্রযুক্তি =
== ভূমিকা ==
[[সবকিছুর জন্যেই ইন্টারনেট?|"সবকিছুর জন্যেই ইন্টারনেট?"]] উইকিবইয়ের এই অধ্যায়ে উন্মুক্ত উৎসের ও মালিকানাধীন প্রযুক্তির মূল ধারণাগুলো অন্বেষণ করা হবে। ১৯৭০-এর দশকে শুরু হওয়া এই দুই ধরণের সফটওয়্যারের ঐতিহাসিক বিকাশ তাদের স্রষ্টা, অবদানকারী এবং তৈরি প্রযুক্তিগত পণ্যের সূত্রের সঙ্গে পরীক্ষা করা হবে। ১৯৮০ এবং ১৯৯০ এর দশকে উন্নয়ন অব্যাহত থাকার সাথে সাথে [[হ্যাকার সংস্কৃতি|'হ্যাকারদের']] ব্যাপকতা এবং গুরুত্ব আরও প্রাসঙ্গিক হয়ে ওঠে। বিষয়কে ঘিরে নৈতিক যুক্তিগুলোও তাই। এই অধ্যায়ে দুটি বিপরীতমুখী সফটওয়্যারের পরিপ্রেক্ষিতে মেধাস্বত্ব বা [[w:মেধাস্বত্ব|কপিরাইট]] এবং [[w:ক্রিয়েটিভ কমন্স লাইসেন্স|ক্রিয়েটিভ কমন্সের]] ধারণাগুলোও বিশ্লেষণ করা হবে। দুটি ভিন্ন সফটওয়্যারের গভীর বিশ্লেষণের মাধ্যমে তাদের ক্ষমতার সুবিধা-অসুবিধা সম্পর্কে আলোচনা করা হবে। উন্মুক্ত উৎসের ও মালিকানাধীন সফটওয়্যারের এই ভিত্তিগত গবেষণা ব্যবহার করে এই অধ্যায়টি দুটি সফটওয়্যারের সমসাময়িক উদাহরণ, তাদের অ্যাপ্লিকেশন এবং একই সাথে একাধিক প্ল্যাটফর্মে কাজ করার ক্ষেত্রে তাদের কার্যকারিতা সম্পর্কিত বিতর্কগুলো পর্যালোচনা করা হবে।
== উন্মুক্ত ও মালিকানাধীন সফটওয়্যারের ইতিহাস ==
একজন লেখক এবং লেখকত্বের সারমর্ম হোমার প্রবর্তন করেছিলেন। আগেকার গল্পগুলো মুখে মুখে বলে পরিবেশিত হত। ফলে মূল দুটি গল্প কখনও হুবুহু এক হতো না। "বার্ড"দের পরিবেশিত এসব গল্পে উন্মুক্ত বাক্যাংশ ব্যবহার করে একটি গল্পের ভিত্তি তৈরি করা হতো। তবে প্রতি দুইটি গল্প একই হতো কিনা, তা এখানে নিশ্চিত করা হতো না।
হোমারই প্রথম ব্যক্তি যিনি কাগজে কলম লাগিয়ে (অর্থাৎ হাতে লিখে) একটি প্রতিলিপি তৈরি করেছিলেন। এর একটি প্রধান উদাহরণ হলো '[[w:ওডিসি|দ্য ওডিসি]]'। এই নতুন ধারণাটি চালু হওয়ার সাথে সাথে হোমার একটি কাল্পনিক জগতকে বৈধতা দিয়েছিলেন। একজন লেখক হওয়ার সাথে সাথেই লেখা বিতরণের চারপাশে একটি সৃজনশীল শিল্প শুরু হয়। লেখার পিছনে কেন আমাদের প্রক্রিয়া আছে এবং কীভাবে সেগুলো কাজ করে এবং বিতরণ করা হয়, সে সম্পর্কে লেখকরা গুরুত্বপূর্ণ। হোমার কপিরাইট আইন ও রয়্যালটির ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।
হোমার প্রতিলিপি লেখার আদর্শ প্রবর্তন করার পর এটি স্পষ্ট হয়ে ওঠে। রখন লেখার কপি ছিল সীমিত। কারণ প্রতিটি কপি হাতে লিখতে হতো। প্রায়ই এসব তৈরি করতে কয়েক মাস পর্যন্ত সময় লাগত। এরপর গুটেনবার্গ ১৫০০ সালের দিকে প্রথম ছাপাখানা চালু করেন। এর ফলে কপি করা দ্রুততর হয় এবং লেখকদের পাঠক সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। শেক্সপিয়র মূলত এভাবেই খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। কারণ তিনি দ্রুত ধারাবাহিকভাবে প্রচুর প্রতিলিপি তৈরি করতে সক্ষম হয়েছিলেন। তবে আধুনিক সমাজে আমরা এই যুগান্তকারী আবিষ্কারটিকে হালকাভাবে নিই। কারণ আমরা কোনও দ্বিধা ছাড়াই মূল মালিককে এর রয়্যালটি বা স্বীকৃতি না দিয়েই কোনও কাজের অনুলিপি তৈরি করতে পারি।
বিভিন্ন প্রতিলিপি প্রাপ্যতা করার দ্রুততার কারণে একটি রেজিস্টার বাস্তবায়ন করা হয়েছিল, যাতে কেবলমাত্র নির্দিষ্ট কিছু প্রত্যয়িত ছাপাখানাগুলোকে কেবল নির্দিষ্ট প্রতিলিপি মুদ্রণের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। তাদের একটি নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে মুদ্রণের অনুমতিপ্রাপ্ত সংখ্যার উপরও একটি সীমা ছিল। লেখক যাতে তাদের শ্রেষ্ঠ রচনাগুলোর জন্য খ্যাতি ও বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করতে পারেন, সেজন্য এটি চালু করা হয়েছিল। স্পষ্টতই এটি ১৫০০ এর দশকের পাশাপাশি এর পরেও ব্যবহৃত হয়েছিল। আজকের আধুনিক যুগে আমরা লেখকত্ব এবং রয়্যালটি সমর্থন করার জন্য ক্রমাগত কপিরাইট আইন প্রয়োগ করছি।
=== <u>১৯৮০ সালের পূর্ববর্তী</u> ===
==== ইউনিক্স ====
বলা হয় [http://www.unix.org/ ইউনিক্স] হলো কম্পিউটিংয়ের প্রযুক্তিগত অগ্রগতির সূচনা। ১৯৭০-এর দশকের গোড়ার দিকে এটি ছিল সি প্রোগ্রামিং ভাষায় লেখা প্রথম অপারেটিং সিস্টেম। এর মূল স্রষ্টা কেন থম্পসন এবং ডেনিস রিচি ছিলেন বলে বিশ্বাস করা হয়।<ref>http://www.unix.org/what_is_unix/history_timeline.html</ref> এটি ছিল প্রথম উন্মুক্ত উৎসের অপারেটিং সিস্টেম যা যে কেউ বিনামূল্যে যোগ করতে, উন্নত করতে এবং উন্নত করতে পারত।<ref>http://www.unix.org/what_is_unix.html</ref> লিনাক্স সহ এখন পর্যন্ত বেশিরভাগ অপারেটিং সিস্টেমের ভিত্তি ইউনিক্স।
=== <u>১৯৮০–১৯৮৯</u> ===
==== ইউজনেট ====
উন্মুক্ত উৎসের ও মালিকানাধীন প্রযুক্তির সূচনা ১৯৮০ এর দশকের আগেই শুরু হয়েছিল। কিন্তু এই সময়ের আগে খুব বেশি কিছু সহজলভ্য ছিল না। কারণ ১৯৮০ সালের আগে [https://en.usenet.nl/ ইউজনেটের] আগমন ঘটেনি। বিশ্বব্যাপী ভাগাভাগি এবং সহযোগিতার প্রথম উপায় ছিল ইউজনেট। ইউজনেট প্রকাশের সাথে সাথে এটি উন্মুক্ত উৎসের তথ্য ভাগাভাগি এবং ফাইল ভাগাভাগি উভয়েরই সূচনা করে।
==== গ্নু প্রকল্প/মুক্ত সফটওয়্যার আন্দোলন ====
উন্মুক্ত উৎসের ও মালিকানাধীন সফটওয়্যারের পরবর্তী ঐতিহাসিক মুহূর্ত ছিল রিচার্ড স্টলম্যানের দ্বারা গ্নু প্রকল্পের ভূমিকা। [https://www.gnu.org/ গ্নু] হলো ব্যবহারকারীদের স্বাধীনতাকে সম্মান করার আরেকটি অপারেটিং সিস্টেম প্রকল্প। বিভিন্ন উন্মুক্ত উৎসের প্রোগ্রাম দ্বারা এটি করা হয়েছে। অর্থাৎ গ্নু সফটওয়্যার নিজে এগুলা তৈরি করে না। গ্নু যখন তৈরি হয়, তখন [http://www.gnu.org/philosophy/free-software-intro.en.html "মুক্ত সফটওয়্যার আন্দোলন"] শুরু হয়েছিল। মুক্ত সফটওয়্যার আন্দোলনের ধারণা হলো কম্পিউটার ব্যবহারকারীদের একটি সম্প্রদায় গঠনের স্বাধীনতা।
==== ৩৮৬বিএসডি ====
১৯৮০-এর দশকের শেষের দিকে [http://www.386bsd.org/ 386বিএসডি]-র কাজ শুরু হয়। ৩৮৬বিএসডি "জোলিক্স" নামেও পরিচিত। এটি ইউনিক্স থেকে আসা আরেকটি বিনামূল্যের অপারেটিং সিস্টেম। এটি ঐতিহাসিক মুহূর্তগুলোর আরেকটি অগ্রগতি, কারণ এটি পরবর্তীতে ফ্রিবিএসডি এবং নেটবিএসডি-র দিকে পরিচালিত করে।
=== <u>১৯৯০-১৯৯৯</u> ===
==== লিনাক্স ====
এই দশকটি উন্মুক্ত উৎসের ও মালিকানাধীন সফটওয়্যারকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করেছে। অগ্রগতির পাশাপাশি ১৯৯১ সালে লিনাস টরভাল্ডস লিনাক্স তৈরির সিদ্ধান্ত নেন। এটি গ্নু অপারেটিং সিস্টেমের উপর অগ্রসর হয়, যাতে একটি সম্পূর্ণ বিনামূল্যের এবং উন্মুক্ত উৎসের অপারেটিং সিস্টেম প্রদান করা যায়। লিনাক্সের প্রতিষ্ঠাতা ইউনিক্সের নিজস্ব সংস্করণ তৈরি করেছিলেন। তিনি নিজের অপারেটিং সিস্টেম তৈরি করতে চেয়েছিলেন। তবে আপনি হয়তো কল্পনা করতে পারবেন না, ১ কোটি লাইন কোড লিখতে কতটা সময় লাগবে/ তাই তিনি ইন্টারনেটে তার দৃষ্টিভঙ্গি ভাগ করে নেন। ফলস্বরূপ অনেক কম্পিউটার উৎসাহী এতে যোগ দেন। মূলত এটি ছিল একটি কম্পিউটিং সিস্টেম, যা যে কেউ তৈরি ও ব্যবহার করতে সক্ষম। অপারেটিং সিস্টেমটিকে একই সাথে বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম ও মাল্টিমিডিয়ামে সংহত করা একটি চ্যালেঞ্জ ছিল। তবে একবার কার্নেল, অপারেটিং সিস্টেমের ভিত্তি তৈরি হয়ে গেলে বাকিগুলো পালাক্রমে অনুসরণ করা হয়।
==== লাল টুপি বা রেড হ্যাট ====
১৯৯৩ সালে [https://www.redhat.com/en/open-source রেড হ্যাটের] প্রতিষ্ঠা ঘটে। রেড হ্যাট একটি লিনাক্স ডিস্ট্রিবিউশন ভিত্তিক কোম্পানি। এটি প্রমাণ করে যে উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যার অত্যন্ত লাভজনক হতে পারে। তারা তাদের নীতিবাক্য পূরণ করার চেষ্টা করে:<div align="center">
<small>"প্রতিটি সমাধান শুরু হয় সমস্যা ভাগ করে নেওয়ার মাধ্যমে। প্রযুক্তি উন্মুক্তভাবে সমৃদ্ধ হয়, যেখানে মানুষ তাদের ধারণা ভাগ করে নেওয়ার এবং অন্যদের কাজের উপর ভিত্তি করে গড়ে তোলার জন্য স্বাধীন।"</small>
<small>"সৃষ্টি সর্বদা সহযোগিতার একটি কাজ" </small>
</div>
==== MySQL/Java 1.0 ====
১৯৯৫ সালে [https://www.mysql.com/ মাইএসকিউএল] এবং প্রথম [https://java.com/en/ জাভা] সোর্স প্রোগ্রামিং ভাষা উভয়ই প্রকাশিত হয়েছিল। মাইএসকিউএল হলো একটি ওপেন-সোর্স রিলেশনাল ডাটাবেস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম। এটি ISAM ভাষার উপর ভিত্তি করে তৈরি। জাভা ১.০ এর প্রথম পাবলিক রিলিজটিও ১৯৯৫ সালে [https://www.oracle.com/sun/index.html?PHPSESSID=8fd76773d26875481e097a4a27c7a6a1 সান মাইক্রোসিস্টেমস] দ্বারা প্রকাশিত হয়েছিল। ২০০৬ সালে OpenJDK চালু হওয়ার পর সান মাইক্রোসিস্টেম সমস্ত জাভা প্যাকেজ উন্মুক্ত উৎসের প্রোগ্রাম তৈরি করে।<div align="center">
<small>জাভা ১.০ প্রতিশ্রুতি দিয়েছে "একবার লিখুন, যেকোনো জায়গায় চালান</small>
</div>
==== অ্যাপাচি ====
পরবর্তীতে দশকের শেষের দিকে আমরা [https://httpd.apache.org/ অ্যাপাচি প্রকাশের মাধ্যমে আরও অগ্রগতি দেখতে পাই।] অগ্রগতি স্থবির হয়ে পড়ার পর NCSA HTTPd সার্ভারগুলোতে সম্প্রসারণের প্রয়াসে অ্যাপাচি-র উপর ভিত্তি তৈরি করা হয়েছিল অ্যাপাচি হলো একটি অবাধে উপলব্ধ ওয়েব সার্ভার। এটি একটি উন্মুক্ত উৎসের লাইসেন্সের অধীনে বিতরণ করা হয়।
==== নেটস্কেপ ====
১৯৯৮ সালে [http://isp.netscape.com/ নেটস্কেপ] তাদের ওয়েব ব্রাউজার উন্মুক্ত উৎসের করে দেয়। মজিলা হলোনেটস্কেপের তৈরি একটি মুক্ত সফটওয়্যার সম্প্রদায়। এটি উন্মুক্ত উৎসের হওয়ার ফলে ব্যবহারকারীরা পণ্যটি ব্যবহার, বিকাশ এবং প্রসারের সুযোগ পান। <ref>https://www.mozilla.org/en-GB/</ref> এরপর মজিলা [https://www.mozilla.org/en-GB/about/ মজিলা ফায়ারফক্স] তৈরি করে।এটি আজও একটি সুপরিচিত ওয়েব ব্রাউজার।
==== ল্যাম্প ====
LAMP এর বেশিরভাগ ধারণা নিম্নরূপ।
<u>(L) লিনাক্স -</u> অপারেটিং সিস্টেম যা পুরো প্রক্রিয়াটিকে সমর্থন করে।
<u>(A) অ্যাপাচি</u> - অ্যাপাচি হলো একটি ওয়েব সার্ভার। এটি আপনাকে আপনার প্রয়োজনীয় তথ্য অর্জনের জন্য সিস্টেমের সাথে কীভাবে যোগাযোগ করতে হবে তা বলে। এটি একটি গ্রাফিক্যাল ইউজার ইন্টারফেসের (GUI) অনুরূপ। এটি সার্ভারগুলোকে একে অপরের সাথে কীভাবে ইন্টারঅ্যাক্ট করতে হয় তাও বলে।
<u>MySQL</u> বা মাইএসকিউএল হলো ডাটাবেজ। এখানেই সমস্ত তথ্য সংরক্ষণ করা হয় এবং ব্যবহারকারীর কাছে উপস্থাপন করার জন্য পুনরুদ্ধার করা হয়।
<u>PHP</u> - পিএইচপি হলো ব্যবহারকারীর কাছে সিস্টেমের সামগ্রিক সরবরাহ/ যেমন একটি মনিটর, স্পিকার এবং VDU। এটি ব্যবহারকারীকে সামগ্রিক অভিজ্ঞতা প্রদান করে।
কম্পিউটার ব্যবহারের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সবকিছুই উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যারের মাধ্যমে করা হয়।
=== <u>২০০০-২০১০</u> ===
==== ওপেনঅফিস ====
২০০০-এর দশকেও উন্মুক্ত উৎসের ও মালিকানাধীন সফটওয়্যারের অগ্রগতি অসাধারণ ছিল। ২০০১ সালে ওপেনঅফিস প্রথম প্রকাশিত হয়। এটি পরবর্তীতে [https://www.openoffice.org/ অ্যাপাচি ওপেনঅফিস], [https://www.libreoffice.org/ লিব্রেঅফিস] এবং ওরাকল ওপেনঅফিসে (এটিই একমাত্র ক্লোজড সোর্স যা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল) শাখাভুক্ত হয়। ওপেনঅফিস ছিল একটি উন্মুক্ত উৎসের অফিস স্যুট প্রোগ্রাম। এটি মাইক্রোসফট অফিসের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে।
==== উবুন্টু ====
২০০৪ সালের মধ্যেই ডেবিয়ান-ভিত্তিক লিনাক্স ডিস্ট্রিবিউশন [http://www.ubuntu.com/ উবুন্টু] মুক্তি পায়। "উবুন্টু একটি উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যার প্ল্যাটফর্ম। এটি স্মার্টফোন, ট্যাবলেট এবং পিসি থেকে শুরু করে সার্ভার এবং ক্লাউড সর্বত্র চলে।" উবুন্টুর লোগো প্রতীকটি "বন্ধুদের বৃত্ত" প্রতিনিধিত্ব করে। এটি উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যারের সাথে সহযোগিতা প্রদর্শন করে। এটি একটি অত্যন্ত ঐতিহাসিক মুহূর্ত। কারণ এখন উবুন্টুর ২৪টিরও বেশি অফিসিয়াল রিলিজ থাকার পাশাপাশি অনেক অনানুষ্ঠানিক ভার্সনও রয়েছে।
==== গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ ====
এই আলোচনায় চারজন প্রভাবশালী কম্পিউটিং প্রতিভার কথা উল্লেখ করাও গুরুত্বপূর্ণ। তারা তাদের আবিষ্কারের মাধ্যমে পুরো বিশ্বকে মুগ্ধ করেছিলেন। ১৯৪৫ সালে স্নায়ুযুদ্ধের প্রাক্কালে <u>বুশ</u> মাইক্রো ফিল্ম ব্যবহার করে প্রথম কম্পিউটার চালু করেন। তিনি বিশ্বাস করতেন, সকলেরই বিশ্ব জ্ঞানে প্রবেশাধিকার থাকা উচিত। এটি ছিল একটি অত্যন্ত কাল্পনিক পদ্ধতি। বুশ আর্থিক মূল্যের জন্য এই ক্ষেত্রটি অনুসরণ করেননি। বরং তিনি বিশ্বাস করতেন, প্রত্যেকেরই তথ্যের প্রাপ্যযোগ্যতা থাকা উচিত।<br/> এনিগমায় কাজ করার জন্য কুখ্যাত <u>টুরিং</u> এমন একটি যন্ত্র তৈরি করেছিলেন, যা যেকোনো কিছু গণনা করতে সক্ষম ছিল। এর মাধ্যমে তথ্য ইনপুট করার এবং দ্রুত ধারাবাহিকভাবে কম্পিউটিং কোডের মাধ্যমে যন্ত্রের বোধগম্য ভাষাতে রূপান্তর করার সুযোগ পাওয়া যায়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় টুরিং সরকারি কোড এবং সাইবার স্কুলে কাজ করেছিলেন। টুরিংকে একটি দল বরাদ্দ করা হয়েছিল। সেখানে তিনি জার্মান নৌ ক্রিপ্ট বিশ্লেষণের দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন। <u>এঙ্গেলবার্ট</u> যুক্তরাজ্যের অন্ধকার প্রধান প্রতিরক্ষার জন্য কাজ করেছিলেন। তিনি দৈত্যদের কাঁধে দাঁড়ানোর উপর বিশ্বাস করতেন। তিনি বুশ ও টুরিংয়ের তৈরি পূর্ববর্তী কাজগুলো ব্যবহার করতেন। রিনি অনেক দুর্দান্ত জিনিস অর্জনের জন্য এটিকে প্রসারিত করেছিলেন। সকল ডেমোর জননী ১৯৬৯। তবে অন্য তিনজনের তুলনায় <u>নেলসন</u> ছিলেন খুবই রহস্যময়। নেলসন হাইপারটেক্সট, HTTP এবং মূলত ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব (www) তৈরিতে সহায়তা করেছিলেন। তিনি জানাডু নামে পরিচিত একটি প্রোগ্রামও তৈরি করেছিলেন। ধারণা করা হয়েছিল এটি ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবের চেয়ে বেশি দক্ষ হবে। তবে আগের তিনজনের বিপরীতে নেলসন এই ধারণাটি পেটেন্ট করে ফ্র্যাঞ্চাইজির মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে চেয়েছিলেন। দুর্ভাগ্যবশত নেলসনের ক্ষেত্রে এটি কাজ করেনি। তাইবশীঘ্রই ধারণাটি ব্যর্থ হয়ে যায়। এই সংক্ষিপ্ত ইতিহাস জুড়ে একটি মূল বিষয়বস্তু হলো সামরিক বাহিনীর সাথে সম্পর্ক ও যোগাযোগ। যদি সামরিক বাহিনী এবং সম্ভবত বিশ্বযুদ্ধ না থাকত, তাহলে আমরা আজ উন্নয়নের ডিজিটাল জগতে যেখানে আছি সেখানে হয়তো থাকতাম না। এমনকি আইপি ইন্টারনেট প্রোটোকলও সামরিক বাহিনী থেকেই এসেছে। তবে একটি বিষয় নিশ্চিত, ডিজিটাল প্রযুক্তি আসলে খুবই রাজনৈতিক।
== হ্যাকার নীতি ==
=== হ্যাকারের বিবর্তন: অতীত ও বর্তমান ===
"হ্যাকার" শব্দটির সাধারণ অর্থ বিভিন্ন প্রজন্মের কাছে ভিন্ন ভিন্ন। লেভি (১৯৬৮) বলেছেন, কম্পিউটার বিজ্ঞান জগতের লোকেরা "এই শব্দটিকে উপহাসের একটি রূপ হিসেবে ব্যবহার করত। এর অর্থ হ্যাকাররা হয় অলস সামাজিকভাবে বহিষ্কৃত অথবা "অপেশাদার" প্রোগ্রামার, যারা নোংরা "অমানবিক" কম্পিউটার কোড লিখেছিল"।<ref>Levy, Steven. 1986 ''Hackers: - Heroes of the Computer Revolution''</ref> লেভি হ্যাকার কী তা বর্ণনা করেছেন। তার তুলনায় ডগলাস (২০০২) হ্যাকারদের বর্ণনা করেছেন, "একটি সংস্কৃতি হিসেবে, (হ্যাকার হলো) কম্পিউটার উৎসাহীদের একটি দল, যারা এমন একটি ক্ষেত্র ও পদ্ধতিতে কাজ করে যা সঠিকভাবে কীভাবে কাজ করে তা জানার জন্য সীমাহীন কৌতূহলের অনুভূতি দ্বারা সংজ্ঞায়িত করা যেতে পারে। তবে এই জ্ঞানকে আরও বিস্তৃত সাংস্কৃতিক ধারণা দ্বারা সংজ্ঞায়িত করা হয়"। <ref>Levy, Steven. 1986 ''Hackers: - Heroes of the Computer Revolution''</ref> আবার দুটি ভিন্ন প্রজন্ম হ্যাকার কী তা বিশ্বাস করে তার দুটি ভিন্ন সংজ্ঞা দেয়। হ্যাকিংয়ের এই ইতিহাসটি একটি জটিল কিন্তু আকর্ষণীয় ক্ষেত্র। কারণ একবিংশ শতাব্দীতে আমরা হ্যাকিংকে একটি অপরাধ হিসেবে জানি। কিন্তু আজকের বিশ্বে অগ্রগতির জন্যেই এটি ব্যবহার করা হয়েছিল। আবার লেভি (২০১৬) উদ্ধৃত করেছেন, "এটি ছিল ভাগাভাগি, উন্মুক্ততা, [[বিকেন্দ্রীকরণ]] এবং যেকোনো মূল্যে মেশিনের উন্নতি এবং বিশ্বকে উন্নত করার জন্য মেশিন হাতে পাওয়ার একটি দর্শন"। এই দর্শন বা নীতিশাস্ত্র তাদের সংস্কৃতির জন্য উপহার ছিল; এমন কিছু যা আমাদের মধ্যে যাদের কম্পিউটারে মোটেও আগ্রহ নেই তাদের জন্যও মূল্যবান। হ্যাকিংয়ের বিবর্তন দেখতে পাওয়া যায় যদি কেউ হ্যাকিংয়ের এই গতিবিধিটি অধ্যয়ন করে। এটি বর্তমানে "অজ্ঞাত" নামে পরিচিত। কারণ এই আন্দোলনটি শুরু হয়েছিল সহজ ট্রোলিং, অপ্রীতিকর উপাদান ভাগ করে নেওয়া এবং [[ফোরচান|4chan]] ওয়েবসাইটে "মিমস" এর মতো অদ্ভুত নতুন ইন্টারনেট অভিব্যক্তি তৈরির মাধ্যমে। হ্যাকাররা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির এই পটভূমি থেকে এসেছে বলে এটিকে তারা "হ্যাকটিভিজম"-এ (হ্যাকিং+অ্যাকটিভিজম) রূপান্তরিত করেছে। এটি কোনও উদ্দেশ্যকে সমর্থন, অসম্মান বা ব্যাহত করার সরাসরি উদ্দেশ্য নিয়ে হ্যাকিং করাকে বুঝায়। তবে এটি হবে "অজ্ঞাত" ভাবে। এগুলো হ্যাকিং বিবর্তনের একটি সহজ ফসল। হ্যাকারদের অনেকেই ইতিবাচক হিসেবে দেখার মতো কাজ করেছে, যেমন [[কু ক্লাক্স ক্লান|কু ক্লাক্স ক্ল্যানের]] সদস্যদের উন্মোচন করা।
=== সৃজনশীল বনাম অপরাধী ===
কম্পিউটারের প্রাথমিক যুগের সাথে সাথে উন্নতির জন্য সর্বদাই জায়গা ছিল। প্রতি বছর বিভিন্ন হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যার দিয়ে কম্পিউটার আপগ্রেড করা হচ্ছে। এক অর্থে হ্যাকাররা সবসময়ই বোঝাপড়ার জন্য চেষ্টা করত। কিন্তু এগিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে তারা সফটওয়্যারও আপগ্রেড করছিল। অ্যালবার্টস এবং ওল্ডেনজিয়েল (২০১৪) এর বর্ণনা অনুযায়ী হ্যাকার ছিলেন একজন ব্যক্তি "যিনি ইচ্ছাকৃতভাবে বাইরের ব্যক্তির ভূমিকা বেছে নেন, জটিলতাগুলো আয়ত্ত করতে হয়, তালা ভাঙতে হয় এবং বহিষ্কারকে অনুপ্রবেশের মাধ্যমে মোকাবেলা করতে হয়"। তারা আরও ব্যাখ্যা করে, হ্যাকাররা "কোনও ক্ষতি না করার জন্য" অনুপ্রবেশের একটি ছাপ রেখে যেতে চেয়েছিল। বিশ্বজুড়ে হ্যাকার সংস্কৃতিকে ভিন্নভাবে দেখা হয়। অনেক দেশ এই সংস্কৃতিকে বিভিন্ন রূপে ব্যবহার করে। উদাহরণস্বরূপ, যুগোস্লাভ কিশোর-কিশোরী এবং ছাত্ররা পার্টি ও সঙ্গীতের উপসংস্কৃতির অংশ হিসেবে কম্পিউটার "ঝাঁকুনি" দিত। অন্যদিকে ফিনিশ গণতন্ত্রগুলো এটিকে "উদীয়মান প্রোগ্রামারদের তাদের কাজ দেখানোর জন্য" "অনুষ্ঠানের আচার" হিসেবে ব্যবহার করত। অন্যদিকে [[Wau holland|"ওয়াউ হল্যান্ড"]] নামে একজন জার্মান হ্যাকারের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক কার্যকলাপের অভিযোগ আনা হয়েছিল। এর মাধ্যমে তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে একটি ব্যাংকের নিরাপত্তা ত্রুটিগুলো দেখানোর জন্য হ্যাক করেছিলেন। তারা যে সিস্টেমটি হ্যাক করছিল তা ছিল একটি নতুন সিস্টেম যা ব্যাংকটি একটি ইন্টারেক্টিভ টেলিটেক্সট সিস্টেম ( [[Btx (form factor)|Btx]] ) স্থাপন করেছিল। এর প্রধান নিরাপত্তা ত্রুটি ছিল। হ্যাকাররা পাসওয়ার্ডগুলো হেরফের করতে এবং ট্র্যাক করতে সক্ষম হয়েছিল। এই কাজ করে হল্যান্ড এবং তার সহযোগী এক রাতে তাদের অ্যাকাউন্টে €১৩৫,০০০ ট্রান্সফার করতে সক্ষম হন। তাদের ব্যাংক হ্যাক করার চার বছর পর ওয়ার্নারিকে আরও কম্পিউটার অপরাধের জন্য ফ্রান্সে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। ১৯৮৬/৮৭ সালে [[নাসা|নাসার]] মতো সরকারি কর্তৃপক্ষ এবং গবেষণা সংস্থাগুলোর ব্যবহৃত VAX কম্পিউটারগুলোতে একটি বাগ আবিষ্কার করে হ্যাকাররা এই কম্পিউটারগুলোতে প্রাপ্যতা পেতে সক্ষম হয়। এরপর তার বিরুদ্ধে ১০০টি কম্পিউটার থেকে ডেটা প্রাপ্যতা, কপি এবং ধ্বংস করার অভিযোগ আনা হয়। হ্যাকিং জগতের অপরাধমূলক দিকের আরেকটি উদাহরণ হতে পারে ১৯৯০ সালের AT&amp;T-এর দূরপাল্লার টেলিফোন সুইচিং সিস্টেমটি ক্র্যাশ করার ঘটনা। স্টার্লিং (১৯৯৪) ব্যাখ্যা করেছেন, এই দুর্ঘটনার সময় ৬০,০০০ মানুষ নয় ঘন্টার জন্য টেলিফোন পরিষেবা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল। এটি শুরু হয়েছিল কারণ ম্যানহাটনের একটি সুইচিং-স্টেশন AT&T-এর নিজস্ব সিস্টেমে পাওয়া একটি বাগের কারণে ক্র্যাশ হয়ে গিয়েছিল।
=== কম্পিউটার/হ্যাকিং নীতিশাস্ত্রের গঠন ===
হ্যাকিংয়ের ক্ষেত্রে আমরা জানি যে মানুষ বিভিন্ন কারণে এটি করে। ভালো হোক বা খারাপ, তুলনা করার মতো কোনও মধ্যম ক্ষেত্র নেই। টেলর (১৯৯৯:১৩৬) যা বর্ণনা করেছেন যে "হ্যাকিংয়ের নৈতিক জটিলতার মুখোমুখি হলে, তারা এবং আমাদের পরিস্থিতির মেরুকৃত অবস্থানের মধ্যে থাকা নৈতিক নিশ্চিততাগুলো গ্রহণ করার প্রলোভন দেখা দেয়"। গত দশকে প্রযুক্তির অগ্রগতির সাথে সাথে, এটি হ্যাকিং প্রজন্মকে তাদের নিজস্ব জ্ঞান, নতুন হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যার উন্নত করার জন্য বিভিন্ন খেলার মাঠ উপহার দিয়েছে। হ্যাকিং সম্ভব করার অন্যতম প্রধান কারণ হলো গোপনীয়তার সমসাময়িক সংস্কৃতি যা সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং অর্থনৈতিক মিথস্ক্রিয়ার একটি বৃহৎ অংশকে নিয়ন্ত্রণ করে। গোপনীয়তার কারণে হ্যাকাররা বিচ্ছিন্ন বোধ করে। কিন্তু সুবিধাও পায়। আমরা জানি হ্যাকাররা গোপনীয়তার বিরোধিতা করে, তারা নিজেদের বিরোধিতা করে, তারা যে পদ্ধতি বা পদ্ধতিটি পরিচালনা করে তা কাজে লাগিয়ে, প্রযুক্তি এবং সমসাময়িক সংস্কৃতির সাথে তাদের অবস্থানকে জটিল করে তোলে। ডগলাস (২০০২:১১৫) ব্যাখ্যা করেন যে হ্যাকিংয়ের প্রাথমিক প্রজন্মে, ধারণা, তথ্য ভাগাভাগি করার পাশাপাশি প্রযুক্তি প্রাপ্যতাের জন্য সম্প্রদায়গুলোর উপর প্রচুর নির্ভর করা হত। ১৯৫০/৬০ এর দশকে, সম্প্রদায়গুলো এমআইটি, হার্ভার্ড, কর্নেল এবং আরও কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবগুলোকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছিল। <ref>Douglas, Thomas 2002 ''Hacking Culture''</ref>
টেলর আরও বলেন,"হ্যাকাররা এমন বাচ্চাদের মতো যারা রেললাইনে দশ পেন্সের টুকরো রেখে দেখে যে এটি বাঁকছে কিনা। কিন্তু তারা বুঝতে পারে না যে তারা পুরো ট্রেনটি রেলিং থেকে নামিয়ে দেওয়ার ঝুঁকি নিচ্ছে"। হ্যাকারদের কীভাবে উপস্থাপন করা হয় তা দেখার একটি ভালো উপায় হলো "মিস্টার রোবট"। এটি এমন একটি প্রোগ্রাম যেখানে একদল হ্যাকার একটি বহুজাতিক কর্পোরেশনকে আক্রমণ করে বিশ্বকে ঋণমুক্ত করতে বদ্ধপরিকর। টেলর (১৯৯৯) উল্লেখ করেছেন,ব্যবসায়িক নীতিশাস্ত্রের একটি গবেষণার সময়, এমন কিছু বিষয় উঠে এসেছে যা দেখায় যে শিল্পের মধ্যে নীতিগত সিদ্ধান্তগুলো আরও কঠিন এবং বয়স্ক জনগোষ্ঠীর কাছ থেকে আসার প্রবণতা রয়েছে। কম্পিউটার শিল্পের সদস্যরা সাধারণত সাধারণ হ্যাকারদের তুলনায় বয়স্ক হন এবং কম্পিউটারকে তাদের দৈনন্দিন জীবনের একটি হাতিয়ার হিসেবে দেখেন, অন্যদিকে হ্যাকাররা কম্পিউটারকে একটি শখ হিসেবে দেখেন। এই বয়সের পার্থক্য সম্ভবত একটি কারণ যার জন্য নিরাপত্তা শিল্প এবং গোপন কম্পিউটারের সদস্যদের নীতিগত দৃষ্টিভঙ্গিতে মৌলিক পার্থক্য রয়েছে।
==== 'অলিখিত আইন' ====
অনেক কম্পিউটার ভক্ত এমন একটি কাঠামো অনুসরণ করেন যাকে অনেকে হ্যাকারদের বাইবেল বলে। এটি এমন কিছু অলিখিত নিয়মে। তারা বিশ্বাস করে এভাবেই সফটওয়্যার লেখা এবং সরবরাহ করা উচিত। তারা সেই অনুযায়ী আরও উন্মুক্ত এবং উদার কিছু পরিবর্তন করতে চায়। এটি মূলত সফটওয়্যারের সহজলভ্যতা এবং এটি ব্যবহার করতে ইচ্ছুক সকলের কাছে এর সহজলভ্যতার সাথে সম্পর্কিত। সকল তথ্য বিনামূল্যে থাকা উচিত। কর্তৃপক্ষের উপর অবিশ্বাস করুন, বিকেন্দ্রীকরণকে উৎসাহিত করুন। দ্বিতীয়ত এই ধারণাটি উপস্থাপন করে যে, বিশ্বজুড়ে বা এমনকি বিভিন্ন দেশে একাধিক সার্ভার থাকা উচিত। সেগুলোতে একই তথ্য জমা থাকবে, যাতে অন্য কোনও সফটওয়্যার এবং/অথবা প্রোগ্রাম ব্যর্থ হলে আপনি সর্বদা প্রাপ্যতা পেতে পারেন। একাধিক সার্ভার থাকার ফলে বৃহত্তর শ্রোতা তৈরি হবে। এর ফলে প্রোগ্রামগুলোতে সবার প্রাপ্যতা থাকার পাশাপাশি কর্মক্ষমতাও উন্নত মানের হবে। হ্যাকারদের বিচার করা উচিত তাদের হ্যাকিং দিয়ে; কোনো ডিগ্রি, বয়স, জাতি বা পদের মতো ভুয়া মানদণ্ড দিয়ে নয়। আমি বিশ্বাস করি এটি বিশেষ করে আধুনিক যুগ এবং সমাজের সাথে গভীরভাবে সম্পর্কিত যেখানে জীবনের সকল ক্ষেত্রেই সমতার জন্য লড়াই অব্যাহত রয়েছে। বিশেষ করে আজকের ডিজিটাল জগতে এমন অনেক তরুণ আছেন যারা অসাধারণ কোডিং তৈরি করতে সক্ষম যা একটি IOS সিস্টেমের মধ্যে একত্রিত করা যেতে পারে। এগুলো বিভিন্ন মাল্টি মিডিয়ামে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে পারে। আপনি কম্পিউটারে শিল্প ও সৌন্দর্য তৈরি করতে পারেন। এটি কম্পিউটিং জগতের সকল মাত্রার জন্য দায়ী, তা ডিজিটাল শিল্প, প্রোগ্রামিং, চলচ্চিত্র নির্মাণ হোক... তালিকাটি অন্তহীন। বলা বাহুল্য, সবই শিল্পের উপাদান। এগুলোকে হালকাভাবে নেওয়া উচিত নয়। কম্পিউটার জীবনকে আরও ভালোর দিকে বদলে দেয়। প্রযুক্তি ক্রমাগত বিকশিত হচ্ছে এবং উন্নতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা এখন বধির এবং অন্ধদের জন্য এমন ব্যবস্থা তৈরি করতে সক্ষম হয়েছি যা মিথস্ক্রিয়া এবং যোগাযোগের পাশাপাশি আরও অনেক কিছুতে সহায়তা করে যা অসংখ্য ব্যক্তি এবং পরিবারকে সহায়তা করে।
== ক্রিয়েটিভ কমন্স বনাম কপিরাইট ==
=== ক্রিয়েটিভ কমন্স কী? ===
২০০১ সালে লরেন্স লেসিগ, হাল অ্যাবেলসন এবং এরিক ইল্ড্রেড অলাভজনক সংস্থা '''ক্রিয়েটিভ কমন্স (CC)''' প্রতিষ্ঠা করেন। এটি অন্যদের জন্য উপলব্ধ সৃজনশীল কাজ বাড়ানোর জন্য চেষ্টা করছে। এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা আইনগতভাবে ভিত্তি করে তৈরি করতে এবং অন্যদের সাথে ভাগ করতে পারেন। ক্রিয়েটিভ কমন্স লাইসেন্সগুলি জনসাধারণের জন্য বিনামূল্যে প্রকাশিত হয়। ক্রিয়েটিভ কমন্স সম্পর্কিত প্রথম নিবন্ধটি একটি সাধারণ আগ্রহের প্রকাশনায় হাল প্লপকিনের “All Hail Creative Commons Stanford professor and author Lawrence Lessig plans a legal insurrection” (২০০২)-এ প্রকাশিত হয়। ২০০৪ সালের নভেম্বর পর্যন্ত প্রায় ৮৮০ মিলিয়ন কাজ ক্রিয়েটিভ কমন্স লাইসেন্সের আওতায় লাইসেন্সপ্রাপ্ত।<ref>[https://creativecommons.org/licenses] , About the Licenses – Creative Commons.</ref>
'''ক্রিয়েটিভ কমন্সের বিভিন্ন দিক'''
ক্রিয়েটিভ কমন্সের অনেক ধরণের আছে, যেগুলো আপনাকে বিভিন্ন উপায়ে একটি কাজ ব্যবহার করার সুযোগ দেয়। এটি ব্যক্তির লাইসেন্সের উপর নির্ভর করে। কারণ প্রতিটি কাজের সাথে আপনি কী করতে পারবেন এবং কী করতে পারবেন না তার নিয়ম রয়েছে। নিচে কয়েকটি তালিকাভুক্ত উদাহরণ দেওয়া হলো। মূলত স্কেল শর্তাবলী প্রদান করে, আপনি বিভিন্ন উপায়ে কিছু পুনঃব্যবহার করতে পারেন, সাধারণত এটি শর্তাবলীতে বর্ণিত থাকে। এটি ছোট মুদ্রণ নামেও পরিচিত।
'''পাবলিক ডোমেইন'''
পাবলিক ডোমেইন শব্দটি এমন সৃজনশীল উপকরণগুলোকে বোঝাতে ব্যবহৃত হয় যা সম্পত্তি আইন, কপিরাইট, ট্রেডমার্ক বা পেটেন্ট আইন দ্বারা সুরক্ষিত নয়। এই কাজগুলোর মালিক 'জনসাধারণ', কোনও একক ব্যক্তি নন। পাবলিক ডোমেইন উপকরণ ব্যবহারের জন্য অনুমতির প্রয়োজন নেই কারণ কেউ কখনও উপকরণের অধিকার দাবি করতে পারে না। <ref>[http://fairuse.stanford.edu/overview/public-domain/welcome/] , Copyright & Fair Use – Stanford University Libraries.</ref>
চারটি সাধারণ সম্ভাবনা রয়েছে যা উপকরণ বা পণ্যগুলোকে পাবলিক ডোমেইন করতে পারে: <ref>[http://fairuse.stanford.edu/overview/public-domain/welcome/] , Copyright & Fair Use – Stanford University Libraries (Extended).</ref>
* কপিরাইট মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে।
* কপিরাইট মালিক কপিরাইট নবায়ন নিয়মের পদ্ধতি সঠিকভাবে অনুসরণ করেননি।
* কপিরাইট মালিক ইচ্ছাকৃতভাবে একটি উপাদান বা পণ্য পাবলিক ডোমেইনে রাখেন।
* কপিরাইট আইন এই বিশেষ ধরণের উপাদানকে রক্ষা করতে পারে না।
কপিরাইট জনসাধারণের জন্য, যাতে তারা সফটওয়্যারটি ব্যবহার করতে পারে, কাজের অংশ... ইত্যাদি, যেমনটা তারা চায়। এর অর্থ হলো তারা এটি সম্পাদনা করতে এবং তাদের ইচ্ছামতো পুনরায় ব্যবহার করতে সক্ষম। এর একটি গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ হলো ওয়াল্ট ডিজনির মিকি মাউসের সৃষ্টি। মিকি মাউসের গ্রাফিক্স এবং ধারণাটি পাবলিক ডোমেইনে রয়েছে, অর্থাৎ বিবিসির মতো অন্যান্য সংস্থাগুলো যদি ইচ্ছা করে তবে এই ধারণাটি একটি স্কেচে ব্যবহার করতে পারে। এর মানে হলো, যদিও আমরা মিকি মাউসকে একটি কার্টুন শিশু ক্লাসিক হিসেবে যুক্ত করেছি, আমরা তাকে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের একটি স্কেচে দেখতে পাচ্ছি।
=== By ===
"By" আপনাকে একটি কাজকে আপনি যেভাবে চান তেমন করে পুনঃমিশ্রণ, সম্পাদনা এবং বিতরণ করার অনুমতি দেয়। তবে, আপনাকে বিবেচনা করতে হবে কাজটি কোথা থেকে এসেছে এবং মূল সৃষ্টিকারীর গুরুত্বকে স্বীকৃতি দিতে হবে।
'''অ্যাট্রিবিউশন'''
সিসি বাই অ্যাট্রিবিউশন — আপনাকে অবশ্যই যথাযথ কৃতিত্ব দিতে হবে, লাইসেন্সের একটি লিঙ্ক প্রদান করতে হবে, এবং কোনও পরিবর্তন করা হলে তা নির্দেশ করতে হবে। আপনি যে কোনও যুক্তিসঙ্গত পদ্ধতিতে তা করতে পারেন, কিন্তু এমন কোনও পদ্ধতিতে নয় যাতে মনে হয় লাইসেন্সকারী আপনাকে বা আপনার এই ব্যবহারের জন্য অনুমোদন দিয়েছেন। দেখুন: [[ccorg:licenses/by-sa/4.0/deed.bn|দলিল - অ্যাট্রিবিউশন-শেয়ার অ্যালাইক 4.0 আন্তর্জাতিক - ক্রিয়েটিভ কমন্স]]
'''অ্যাট্রিবিউশন-শেয়ারঅ্যালাইক'''
সিসি বাই-এসএ এই লাইসেন্সটি আপনাকে অ্যাট্রিবিউশন লাইসেন্সিংয়ের মতোই কাজ করার সুযোগ দেয়। তবে এটি কেবলমাত্র বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে সম্পন্ন করা হয় এবং তারা তাদের নতুন সৃষ্টিগুলোকে একই শর্তে স্বীকৃতি এবং লাইসেন্স দেয়। অ্যাট্রিবিউশন- শেয়ারঅ্যালাইককে প্রায়ই 'কপিলেফট' ফ্রি এবং ওপেন সফটওয়্যার লাইসেন্স বলা হয়। উইকিপিডিয়া এই ধরণের লাইসেন্স ব্যবহার করে।
'''অ্যাট্রিবিউশন-নো ডেরিভস'''
সিসি বাই-এনডি এই লাইসেন্সটি বাণিজ্যিক ও এবং অ-বাণিজ্যিক উভয় ক্ষেত্রেই পুনর্বণ্টনের সুযোগ দেয়, যতক্ষণ না এটি অপরিবর্তিত এবং সম্পূর্ণরূপে আপনার কৃতিত্বের সাথে সরবরাহ করা হয়। দেখুন: [[ccorg:licenses/by-nd/4.0/deed.bn|দলিল - অ্যাট্রিবিউশন-নো ডেরিভস 4.0 আন্তর্জাতিক - ক্রিয়েটিভ কমন্স]]
'''অ্যাট্রিবিউশন-অ-বাণিজ্যিক'''
সিসি বাই-এনসি অ্যাট্রিবিউশন-শেয়ারঅ্যালাইকের অনুরূপ.এই লাইসেন্সটি আপনাকে কাজ যোগ করতে, পরিবর্তন করতে এবং নির্মাণ করতে সক্ষম করে, তবে তা বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে গ্রহণযোগ্য নয়। নতুন সৃষ্টিকর্মকে আপনার পরিবর্তন সহ অ-বাণিজ্যিক উপাদান স্বীকার করতে হবে, তবে এটি একই লাইসেন্সের অধীনে হতে হবে না। দেখুন: [[ccorg:licenses/by-nc/4.0/deed.bn|দলিল - অ্যাট্রিবিউশন-অ-বাণিজ্যিক 4.0 আন্তর্জাতিক - ক্রিয়েটিভ কমন্স]]
'''অ্যাট্রিবিউশন-ননকমার্শিয়াল-শেয়ারঅ্যালাইক'''
সিসি বাই-এনসি-এসএ অ্যাট্রিবিউশন-ননকমার্শিয়ালের মতো মূল পার্থক্য হলো, আপনাকে একই শর্তে নতুন কাজের লাইসেন্স দিতে হবে। দেখুন: [[ccorg:licenses/by-nc-sa/4.0/deed.bn|দলিল - অ্যাট্রিবিউশন-অ-বাণিজ্যিক-শেয়ার অ্যালাইক 4.0 আন্তর্জাতিক - ক্রিয়েটিভ কমন্স]]
'''অ্যাট্রিবিউশন-ননকমার্শিয়াল-নোডেরিভস'''
সিসি বাই-এনসি-এনডি এই লাইসেন্সটি সবচেয়ে সীমাবদ্ধ। এটিব কেবল মূল লেখককে কৃতিত্ব দেওয়া সাপেক্ষে শুধুমাত্র অন্যদের আপনার কাজ ডাউনলোড করতে এবং অন্যদের সাথে শেয়ার করার অনুমতি দেয়। দেখুন: [[ccorg:licenses/by-nc-nd/4.0/deed.bn|দলিল - অ্যাট্রিবিউশন-অ-বাণিজ্যিক-নো ডেরিভস 4.0 আন্তর্জাতিক - ক্রিয়েটিভ কমন্স]]
'''প্রভাব'''
ব্রাউসার্ড ক্রিয়েটিভ কমন্সকে কপিলেফট আন্দোলনের অগ্রভাগে বলে বর্ণনা করেছেন। এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে "সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত" কপিরাইটের একটি বিকল্প প্রদান করার চেষ্টা করছে (২০০৭)। বিকল্পভাবে, ডেভিড বেরি ক্রিয়েটিভ কমন্সকে বুদ্ধিজীবী সম্পত্তির বিষয়টিতে আগ্রহ তৈরি করার জন্য এবং "তথ্য যুগে" "কমন্স" এর ভূমিকা পুনর্বিবেচনা করার জন্য কৃতিত্ব দেন, তিনি বলেন "ক্রিয়েটিভ কমন্সে এমন প্রতিষ্ঠানিক, ব্যবহারিক এবং আইনগত সহায়তা রয়েছে যা افراد এবং গোষ্ঠীগুলোকে সংস্কৃতি নিয়ে আরও স্বাধীনভাবে পরীক্ষাগুলো এবং যোগাযোগ করতে চায়।" (বেরি, ডি, ২০০৫)। লেস্টিগ, অন্যদিকে আধুনিক সংস্কৃতিকে ঐতিহ্যবাহী কনটেন্ট বিতরণকারীদের দ্বারা আধিপত্যে ছিল বলে বর্ণনা করেছেন, সাংস্কৃতিক পণ্য যেমন সঙ্গীত এবং সিনেমার উপর মনোপলি বজায় রাখতে বা বৃহত্তর করতে, তিনি বলেছেন "ক্রিয়েটিভ কমন্স এই বিধিনিষেধগুলোর বিকল্প দিতে পারে" (লেস্টিগ, ২০০৬)।
== উন্মুক্ত উৎসের ও মালিকানাধীন সফটওয়্যারের উদাহরণ ==
=== ইউনিক্স এবং গ্নু ===
[http://www.unix.org/ ইউনিক্স] ১৯৬৯ সালে বেল ল্যাবসে তৈরি করা হয়েছিল এবং এটি কম্পিউটিং ইতিহাসের প্রাচীনতম অপারেটিং সিস্টেমগুলোর মধ্যে একটি। এটিই সেই ভিত্তি যার উপর Mac OS X নির্মিত। এটি অনেকগুলো ভিন্ন মেশিনে চালানো যেতে পারে, এবং ইউনিক্স কম্পিউটারগুলো নেটওয়ার্কগুলোতে একসাথে কাজ করতে পারে। ইউনিক্স ছিল একটি মালিকানাধীন সিস্টেম কারণ বেল ল্যাবস কপিরাইট সুরক্ষিত রেখেছিল যাতে এটি একটি বন্ধ সিস্টেম ছিল যা ভাগ করা যেত না। একটি সিস্টেমে কাজ করার জন্য ইউনিক্স কোডটি সোর্স কোড বই থেকে ম্যানুয়ালি প্রবেশ করতে হত। এটি আজ আমাদের কাছে অত্যন্ত অদক্ষ বলে মনে হয়।
উন্মুক্ত উৎসের নেটওয়ার্কের উন্নয়নে রিচার্ড স্টলম্যান ছিলেন মৌলিক ভূমিকা পালনকারী। তিনি ইউনিক্সকে আরও ভাগ করে নেওয়ার যোগ্য উন্মুক্ত সিস্টেমে রূপান্তর করতে চেয়েছিলেন। ১৯৮৪ সালে তিনি [http://www.fsf.org/ ফ্রি সফটওয়্যার ফাউন্ডেশন] (এফএসএফ) তৈরি করেন। এফএসএফ-এর মূল লক্ষ্য ছিল সফটওয়্যারকে আরও উন্মুক্ত এবং প্রাপ্যতাযোগ্য করে তোলা, ঠিক যেমন প্রাথমিক কম্পিউটিং বুদ্ধিমত্তা এবং বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার ভাগ করে নেওয়ার উপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। স্টলম্যান গ্নু ("গ্নু is not ইউনিক্স") আবিষ্কার করেন ইউনিক্সকে নতুনভাবে পুনর্নির্মাণ করে যাতে এটি উন্মুক্ত এবং ভাগ করে নেওয়া যায়, যাতে ব্যবহারকারীরা তাদের ইচ্ছামত কোডটি মানিয়ে নিতে এবং পরিবর্তন করতে পারে। গ্নু যে কোনও সিস্টেমে চলতে সক্ষম ছিল যা ইতিমধ্যেই ইউনিক্স সমর্থন করে। স্টলম্যান গ্নু-কে একটি নতুন সিস্টেমের অধীনে লাইসেন্স দিয়েছিলেন যার নাম জেনারেল পাবলিক লাইসেন্স (জিপিএল। এটি "কপিলেফট" নামেও পরিচিত) যাতে গ্নু-কে মালিকানাধীন সফটওয়্যারে পরিণত হতে না পারে।
=== লিনাক্সের সাফল্য ===
লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেম একটি উন্মুক্ত উৎসের প্রকল্পের একটি গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ যা ক্রমশ শক্তিশালী হচ্ছে। এই প্রকল্পের সহযোগিতার সম্ভাবনাগুলো নিজেই নেটওয়ার্কের শক্তির প্রতিনিধিত্ব করে। কারণ এর প্রাথমিক পর্যায়ে যখন খুব কম অবদানকারী অংশগ্রহণ করছিলেন তখনও তাদের সারা বিশ্বে পাওয়া যেত। এই ব্যবস্থার সাফল্যের পেছনে অনেকগুলো কারণ রয়েছে, যেমন সম্পত্তির অধিকারের প্রতি বিশেষ দৃষ্টিভঙ্গি যা এর লাইসেন্স গঠন করে। লিনাক্সের [[গ্নু জেনারেল পাবলিক লাইসেন্স|জেনারেল পাবলিক লাইসেন্স]] (জিপিএল) সিস্টেমের ক্রমাগত উন্নয়নকে এর উপর ভিত্তি করে তৈরি হিসেবে স্বীকৃতি দেয়, তবে এটি পুনর্বণ্টনের সময় এর উপর কোনও বিধিনিষেধ আরোপের সুযোগ দেয় না। এটি বার্কলে সফটওয়্যার ডিস্ট্রিবিউশন (বিএসডি) লাইসেন্সের একটি বিকল্প। এটি প্রোগ্রামারদের সিস্টেম উন্নত করার জন্য একই স্বাধীনতা প্রদান করে না।
লিনাক্সের সাফল্যের আরেকটি কারণ হলো প্রকল্পের জন্য অব্যাহত, ঐক্যবদ্ধ সমর্থন। এটি প্রকল্প নেতাদের দ্বারা গৃহীত সিদ্ধান্ত এবং নিয়ম প্রত্যাখ্যান করার ঝুঁকি সম্পর্কে বোঝার কারণে। যারা প্রস্তাবিত কোড পরিবর্তন গ্রহণ করতে ব্যর্থ হন, তাদের জন্য প্রাথমিক প্রকল্প থেকে আলাদা হয়ে তাদের পরিবর্তনগুলো বাস্তবায়িত করে একটি নতুন প্রকল্প স্থাপন করার সুযোগ রয়েছে, যাকে "ফর্কিং" বলা হয়। <ref>Weber, S. (2004). ''Success of Open Source.'' Cambridge: Harvard University Press, p.64</ref> যদিও কিছু ডেভেলপার এটিকে উন্মুক্ত উৎসের প্রোগ্রামিংয়ের একটি অপরিহার্য অধিকার হিসেবে দেখেন, তবুও এই প্রক্রিয়ায় ঝুঁকি রয়েছে। লিনাক্সের ক্ষেত্রে, প্রলিফিক ফর্কিং কর্মীদের বিভক্ত করার এবং সামগ্রিক উৎপাদনশীলতা হ্রাস করার ঝুঁকি বহন করে। অধিকন্তু, আরও প্রকল্পের সাথে সাথে একটি প্রকল্পে উল্লেখযোগ্য সমস্যা দেখা দেওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। এটি প্রতিটি প্রকল্পের উপর খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে, ফর্কিংয়ের মাধ্যমে উদ্ভূত প্রকল্প থেকে শুরু করে প্রাথমিক প্রকল্প পর্যন্ত। <ref>Weber, S. (2004). ''Success of Open Source.'' Cambridge: Harvard University Press, p.159</ref> দক্ষতা এবং উৎপাদনশীলতার এই ভাঙ্গনের ফলে বেশ কয়েকটি প্রকল্প, সম্ভবত সবগুলোই ব্যর্থ হতে পারে। লিনাক্সের দীর্ঘ জীবনকাল এবং অব্যাহত, দীর্ঘমেয়াদী সহযোগিতার সম্ভাবনা উপরে উল্লিখিত ঝুঁকিগুলোর জন্য ঝুঁকি নেওয়ার প্রবণতাকে নিরুৎসাহিত করে, তাই এটি এখনও পর্যন্ত এটির অভিজ্ঞতা লাভ করেনি। <ref>Weber, S. (2004). ''Success of Open Source.'' Cambridge: Harvard University Press, p.159</ref>
উন্মুক্ত উৎসের ফরম্যাটের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সুবিধা থেকে লিনাক্সও উপকৃত হয়। ঐতিহ্যবাহী মালিকানাধীন ব্যবস্থায়, প্রত্যেকের কাছ থেকে প্রায় সমান পরিমাণে কাজের অবদান আশা করা হয়। তবে ওপেন সোর্সে, অবদানকারীদের একটি ছোট শতাংশের জন্য কাজের একটি বড় অংশ সম্পাদন করা সাধারণ, এবং বিপুল সংখ্যক অপ্রাপ্তবয়স্ক অবদানকারীদের জন্য কেবল এক বা দুটি অবদান রাখা স্বাভাবিক। তবুও, জর্ডান যুক্তি দেন যে একটি উন্মুক্ত উৎসের প্রকল্পের প্রেক্ষাপটে, একজন ব্যক্তি এমন একটি কাজ সম্পন্ন করতে পারেন যা অন্যথায় সম্পন্ন নাও হতে পারে। যদি একজন ব্যক্তি মাত্র একটি অবদানের মাধ্যমেও গ্রুপ প্রকল্পের উন্নতি করেন, তাহলে সকলেই আরও ভালো পণ্য পেয়ে উপকৃত হবেন।
পরিসংখ্যান থেকে জানা যায় যে ইন্টারনেটের ৩৬.২% ওয়েবসাইট লিনাক্স ব্যবহার করে। এরিকের মতে, লিনাক্স একটি বিকেন্দ্রীভূত উন্নয়ন পদ্ধতি [http://www.fao.org/docs/up/easypol/342/decen_dev_in_agri_012en.pdf] গ্রহণ করেছে। "ক্যাথেড্রাল অ্যান্ড দ্য বাজার" এবং অনুরূপ কাজে এস রেমন্ডের পরীক্ষা। এই পদ্ধতির ফলে অবদানকারীরা একটি সংবেদনশীলহীন সাংগঠনিক কাঠামোর মধ্যে ক্রমাগত কাজ করতে সক্ষম হন। লিনাক্সের অপারেটিং সিস্টেমের বৈশিষ্ট্যগুলোও এর সাফল্য বিশ্লেষণ করার সময় বিবেচনা করার মতো আরেকটি সম্ভাব্য কারণ। লিনাক্স এবং ইউনিক্সের মতো অন্যান্য অপারেটিং সিস্টেমের মধ্যে প্রযুক্তিগত বৈপরীত্য রয়েছে যা লিনাক্সের সাফল্য নিয়ে আলোচনা করার সময় মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ। একটি নির্দিষ্ট উৎস অনুসারে, কার্নেলের গণিত কোপ্রসেসর ব্যবহার না করেই 387-FPU নির্দেশাবলী এবং সিস্টেম অনুকরণ করার ক্ষমতা রয়েছে এবং একাধিক প্রোগ্রাম চালানোর ক্ষমতা রয়েছে যার জন্য ফ্লোট-পয়েন্ট গণিত ক্ষমতার একটি স্তর প্রয়োজন। লিনাক্স ডেটা স্টোরেজের জন্য বিভিন্ন ফাইল সিস্টেম সমর্থন করে, এবং ext2 ফাইল সিস্টেমের মতো। এটি বিশেষভাবে লিনাক্সের জন্য তৈরি করা হয়েছিল।
=== অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস ===
==== অ্যান্ড্রয়েডের উন্নয়ন ====
[[চিত্র:Android_robot.png|থাম্ব| অ্যান্ড্রয়েড লোগো]]
২০০৭ সালের ৫ নভেম্বর তারিখে গুগলের মোবাইল ফোন অপারেটিং সিস্টেম [[Android(operating system)|অ্যান্ড্রয়েড]] সর্বজনীনভাবে আত্মপ্রকাশ করে। এর বিশ্বব্যাপী প্রবর্তন [[ওপেন হ্যান্ডসেট অ্যালায়েন্স|ওপেন হ্যান্ডসেট অ্যালায়েন্সের]] সৃষ্টি এবং প্রবর্তনের সাথেও সম্পর্কিত। কোম্পানিগুলোর একটি কনসোর্টিয়াম যারা তাদের পণ্যগুলোতে নতুন তৈরি অ্যান্ড্রয়েড সফটওয়্যার প্রয়োগ করে। কনসোর্টিয়ামটি জনসমক্ষে প্রকাশিত হওয়ার সময় এর ৩৪ সদস্যের তালিকায় টি-মোবাইল, [[স্যামসাং ইলেকট্রনিক্স]], [[এইচটিসি]] এবং [[সনি|সনির]] মতো কোম্পানিগুলো অন্তর্ভুক্ত ছিল। পরবর্তী বছরগুলোতে, [[তোশিবা]], এসার এবং [[ভোডাফোন|ভোডাফোনের]] মতো কোম্পানিগুলো যোগদানের সাথে সাথে সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। <ref>http://www.cnet.com/uk/news/googles-open-handset-alliance-gains-14-new-members/</ref> এই জোটটি ছিল গুগলের অ্যান্ড্রয়েডকে একটি উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যার হিসেবে বিকাশের সিদ্ধান্তের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপজাত।
রিচ মাইনার, [[অ্যান্ডি রুবিন]] এবং নিক সিয়ার্সকে সাধারণত অ্যান্ড্রয়েডের উদ্ভাবক হিসেবে কৃতিত্ব দেওয়া হয়। <ref>http://uk.businessinsider.com/how-android-was-created-2015-3?r=US&IR=T</ref> ২০০৫ সালে গুগল কর্তৃক কেনার আগে তারা একসাথে একটি ছোট কোম্পানি, Android.inc, হিসেবে অ্যান্ড্রয়েডে কাজ করেছিল। তাদের অধিগ্রহণের পর উপলব্ধ তহবিল বৃদ্ধি এবং প্রচুর নতুন সম্পদের আধিক্য উন্নয়ন প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে। দুই বছর পর প্রথম সর্বজনীনভাবে উপলব্ধ অ্যান্ড্রয়েড সফটওয়্যার তৈরি করা হয়। গুগল মূলত অ্যাপলের আইওএস-এর উন্নয়নের বিরোধিতা করে অপারেটিং সিস্টেমটি তৈরি করেছিল। ২০১০ সালে গুগলের আই/ও সম্মেলনের মূল বক্তৃতায়, গুগলের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট সোশ্যাল ভিক গুন্ডোত্রা দাবি করেছিলেন, "আমরা যদি পদক্ষেপ না নিই, তাহলে আমরা এক ভয়াবহ ভবিষ্যতের মুখোমুখি হব যেখানে একজন মানুষ, একজন ফোন, একজন ক্যারিয়ারই হবে ভবিষ্যৎ। এমন একটি ভবিষ্যৎ আমরা চাই না।" <ref>http://www.theatlantic.com/technology/archive/2013/12/the-day-google-had-to-start-over-on-android/282479/</ref>
অ্যান্ড্রয়েড প্রকাশের প্রায় এক বছর আগে, [[স্টিভ জবস]] ৯ জানুয়ারি, ২০০৭ তারিখে অ্যাপল আইফোন চালু করেছিলেন। গুগলের ভেতরে এই ঘোষণার প্রতিক্রিয়া ছিল অবাক করার মতো। গুগলের একজন কর্মচারী, ক্রিস ডিসালভো মন্তব্য করেছেন;<div align="center">
'''"একজন ভোক্তা হিসেবে আমি অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। আমি তাৎক্ষণিকভাবে একটি চাইছিলাম। কিন্তু একজন গুগল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে, আমি ভেবেছিলাম 'আমাদের নতুন করে শুরু করতে হবে। নব্বইয়ের দশকে আমরা যা হঠাৎ করে দেখেছিলাম তা এমন একটি জিনিস যা দেখলেই স্পষ্ট হয়ে ওঠে।"'''
</div>এই ঘোষণা অনুসারে অ্যান্ড্রয়েড ইঞ্জিনিয়ারদের দ্বারা তাড়াতাড়ি কিছু পরিবর্তন করা হয়। বিশেষ করে তাদের পণ্যে 'টাচস্ক্রিন' যুক্ত করা হয়। যদিও অ্যাপলের ঘোষণা অ্যান্ড্রয়ের আগে এসেছিল। এটি তাদের বাজারে সাময়িকভাবে লাভবান করতে সুবিধা দিয়েছিল। বিষয়টি অ্যান্ড্রয়েরডের একটি সুবিধাজনক অবস্থান হিসেবে দেখা হয়। কারণ এর ফলেঅ্যাপল কী মিস করেছে তা অ্যান্ড্রয়েরডের ইঞ্জিনিয়ারদেরকে দেখার সুযোগকরে দেয়।
অ্যান্ড্রয়েড উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যার লিনাক্সের উপর ভিত্তি করে তৈরি। ফলে এর সোর্স কোড সকলের জন্য প্রাপ্যতাযোগ্য করে তোলে, অ্যান্ড্রয়েডের লিনাক্স পিসিতে আমরা যে লিনাক্স ব্যবহার করি তার থেকে ভিন্নভাবে কাজ করে। পিসির মতো অ্যান্ড্রয়েড লিনাক্স কার্নেল সংস্করণের একটি পরিবর্তিত সংস্করণ ব্যবহার করে।তবে একই সংস্করণ নয়। অ্যান্ড্রয়েডের জন্য লিনাক্স স্মার্টফোনের কথা মাথায় রেখে ডিজাইন করা হয়েছে ।তাই মূল কার্নেলে অন্যান্য সমন্বয়ের সাথে টাচ-স্ক্রিন প্রোগ্রামিং যোগ করা হয়েছে। নিচে কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপাদানের তালিকা দেওয়া হলো।
* অ্যালার্ম ড্রাইভার: ডিভাইসগুলোকে ঘুম থেকে জাগানোর জন্য টাইমার সরবরাহ করে
* Ashmem: অ্যাপ্লিকেশনগুলোকে মেমরি ভাগ করে নেওয়ার সুযোগ দেয় এবং কার্নেল স্তরে ভাগ করে নেওয়ার ব্যবস্থা করে।
* বাইন্ডার ড্রাইভার: আন্তঃ-প্রক্রিয়া যোগাযোগ সহজতর করে কারণ শেয়ার্ড মেমোরি ব্যবহারের মাধ্যমে একাধিক অ্যাপ্লিকেশন দ্বারা ডেটা ভাগ করা যায়। IPC হিসেবে নিবন্ধিত একটি পরিষেবা
পরিষেবা প্রদানকারীদের বিভিন্ন থ্রেড নিয়ে চিন্তা করতে হবে না কারণ বাইন্ডার সেগুলো পরিচালনা, পর্যবেক্ষণ এবং পরিচালনা করবে। বাইন্ডার প্রক্রিয়াগুলোর মধ্যে সিঙ্ক্রোনাইজেশনেরও যত্ন নেয়।
* পাওয়ার ম্যানেজমেন্ট: স্ট্যান্ডার্ড লিনাক্স পাওয়ার ম্যানেজমেন্ট (PM) এর উপরে তৈরি এবং
বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনা এবং সাশ্রয়ের জন্য আরও আক্রমণাত্মক নীতি গ্রহণ করুন। <ref>http://www.handycodeworks.com/wp-content/uploads/2011/02/linux_versus_android.pdf</ref>
গুগল কেন অ্যান্ড্রয়েডকে একটি উন্মুক্ত উৎসের অপারেটিং সিস্টেম বানিয়েছে তা বিতর্কের বিষয়। বিরোধীরা যুক্তি দেন যে সিদ্ধান্তটি মূলত আর্থিক ভিত্তিক ছিল। উন্মুক্ত উৎসের প্রযুক্তির লাভ-ভিত্তিক একাধিক সুবিধা রয়েছে। এটি মূলত সিস্টেমের ব্যাপক জনপ্রিয়তার কারণে। এটি গুগলের নাগাল আরও বাড়িয়ে তোলে এবং তাদের ভোক্তা জনসংখ্যার পরিধি প্রসারিত করে। তবে তাদের ওয়েবসাইটে, অ্যান্ড্রয়েড ব্যাখ্যা করেছে কেন তারা একটি উন্মুক্ত উৎসের সিস্টেম ব্যবহার করে;
'''"অ্যান্ড্রয়েডের প্রাথমিক উদ্দেশ্য হলো ক্যারিয়ার, ওইএম এবং ডেভেলপারদের জন্য একটি উন্মুক্ত সফটওয়্যার প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা যাতে তারা তাদের উদ্ভাবনী ধারণাগুলোকে বাস্তবে রূপ দিতে পারে এবং একটি সফল, বাস্তব-বিশ্বের পণ্য প্রবর্তন করতে পারে যা ব্যবহারকারীদের জন্য মোবাইল অভিজ্ঞতা উন্নত করে। আমরা আরও নিশ্চিত করতে চেয়েছিলাম যে ব্যর্থতার কোনও কেন্দ্রীয় বিন্দু নেই, যেখানে একজন শিল্প খেলোয়াড় অন্য কারও উদ্ভাবনকে সীমাবদ্ধ বা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।"''' <ref>https://source.android.com/source/</ref>
==== আইওএসের উন্নয়ন ====
[[চিত্র:Steve_Jobs_presents_iPhone.jpg|থাম্ব| স্টিভ জবস আইফোন উপস্থাপন করছেন]]
অ্যাপলের মোবাইল ফোন অপারেটিং সিস্টেম, [[আইওএস]]। এটি পূর্বে ওএস নামে পরিচিত ছিল, ৯ জানুয়ারি, ২০০৭ সালে আইফোন প্রবর্তনের মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ করে। প্রথম আইফোনগুলো সেই গ্রীষ্মের পরে বিক্রি শুরু হবে। আইওএসের নকশা অ্যাপল ম্যাকিনটোশের অপারেটিং সিস্টেম ওএস এক্স-এর উপর ভিত্তি করে তৈরি। স্টিভ জবস কর্তৃক আইপড প্রোগ্রামিং এবং ম্যাকিনটোশ প্রোগ্রামিংয়ের মধ্যে একটি প্রতিযোগিতার পর এই সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে ম্যাকিনটোশ ভিত্তিক একটি সিস্টেমই সবচেয়ে উপযুক্ত। ম্যাকিনটোশ দলের নেতৃত্বে ছিলেনস্কট ফরস্টল। তাকে অ্যাপ স্টোর তৈরি এবং বিকাশের জন্য কৃতিত্ব দেওয়া হয়। <ref>http://www.bloomberg.com/news/articles/2011-10-12/scott-forstall-the-sorcerers-apprentice-at-apple</ref>
আইওএস একটি মালিকানাধীন অপারেটিং সিস্টেম এবং তাই এর সোর্স কোড প্রাপ্যতাযোগ্য বা পরিবর্তনযোগ্য নয়। অ্যাপলই একমাত্র কোম্পানি যার পণ্যে আইওএস ব্যবহারের সুযোগ এবং বৈধতা রয়েছে। অপারেটিং সিস্টেম পরিবর্তনের ক্ষেত্রে ব্যবহারকারীদের সীমিত প্রাপ্যতাের কারণে, জেলব্রেকিংয়ের প্রক্রিয়াটি জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে অ্যান্ড্রয়েডের মতো অপারেটিং সিস্টেমে বিরোধী সফটওয়্যারের উপাদান রয়েছে, এই ক্ষেত্রে ওপেন সোর্স। এমন দাবি করা হয়েছে যে স্টিভ জবস আসলে ওপেন সোর্সের একজন পথিকৃৎ ছিলেন। আইওএস-ভিত্তিক ম্যাক অপারেটিং সিস্টেমটি নিজেই ডারউইনের উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যারের উপর ভিত্তি করে তৈরি। ডারউইন ২০০৩ সালে অ্যাপল দ্বারা একটি বিনামূল্যের এবং উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যার লাইসেন্সের অধীনে প্রকাশিত হয়েছিল। অধিকন্তু, স্টিভ জবস দাবি করেছেন যে অ্যান্ড্রয়েড "আসলে তেমন খোলা নয়" তিনি উল্লেখ করেছেন যে কিছু মোবাইল ডিভাইস কোম্পানি যেমন এইচটিসি তাদের ইন্টারফেসে মালিকানাধীন সফটওয়্যার ব্যবহার করেছে। তিনি এতে অসন্তোষ প্রকাশ করেন কারণ এর ফলে ব্যবহারকারীদের নিজেরাই এটি সমাধান করতে হয়। এটিকে অ্যাপল মালিকানাধীন সফটওয়্যার বাস্তবায়নের অন্যতম কারণ হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে; ডিভাইসের ব্যবহারকারী-বান্ধবতা উন্নত করার জন্য।
অ্যান্ড্রয়েডের মতোই, যুক্তি দেওয়া হয় যে এই সিদ্ধান্তটি মূলত আর্থিক ভিত্তিক ছিল। সফটওয়্যারটির কপিরাইট করার মাধ্যমে তারা অন্যান্য কোম্পানিগুলোকে এটি ব্যবহার থেকে বিরত রাখে, তাই যারা ইন্টারফেসটি উপভোগ করেছেন তাদের অ্যাপল পণ্য কিনতে হবে। অ্যাপল স্বীকার করেছে যে অনলাইন সম্প্রদায়ের মধ্যে, বিশেষ করে হ্যাকার সম্প্রদায়ের মধ্যে, প্রোপ্রাইটারিকে অবজ্ঞা করা হয়, তাই তারা টাচস্ক্রিন এবং হোম বোতামের মতো নির্দিষ্ট উদ্ভাবনী বৈশিষ্ট্যগুলোর উপর IOS প্রকাশের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করেছে। মালিকানাধীন সমালোচকরা যুক্তি দেন যে উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যার অ্যাপলের জন্য অনিবার্য। <ref>http://www.wired.com/2015/06/open-sourcing-no-longer-optional-not-even-apple/</ref> তাদের যুক্তি হলো, অ্যাপল যদি প্রতিটি নতুন সংস্করণের সাথে মালিকানার মাত্রা বৃদ্ধি করতে থাকে, তাহলে তারা তাদের জনপ্রিয় অ্যাপ্লিকেশনগুলোর বেশিরভাগের জন্য নির্ভরশীল ডেভেলপারদের বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার ঝুঁকিতে পড়বে। মাইক্রোসফটের লিনাক্সের সাম্প্রতিক গ্রহণযোগ্যতা অ্যাপলের উপর আরও চাপ সৃষ্টি করেছে কারণ মাইক্রোসফটের মালিকানাধীন সফটওয়্যারের সাথে দীর্ঘদিনের মৌলিক সম্পর্ক রয়েছে।
==== বিতর্কের ভূমিকা ====
বিপরীত অপারেটিং সিস্টেমগুলোকে ঘিরে বিতর্কের ব্যবহারিক এবং আদর্শিক উভয় দিক থেকেই গুরুত্ব রয়েছে। ব্যবহারিকতার বিষয়গুলো অনলাইন ফোরামগুলোতে প্রাধান্য পায় এবং প্রায়ই উভয়ের মধ্যে তুলনা করা হয়। ব্যবহারকারী-বান্ধবতা, গোপনীয়তা, নিরাপত্তা, কাস্টমাইজেবিলিটি এবং অ্যাপ্লিকেশনগুলো সরাসরি অপারেটিং সিস্টেমের প্রকৃতি দ্বারা প্রভাবিত হয়, তা মালিকানাধীন হোক বা ওপেন সোর্স। সাধারণ জনগণের কাছে এগুলো বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে হয়। কিন্তু কিছু মানুষের কাছে, বিশেষ করে হ্যাকার সম্প্রদায় এবং ইন্টারনেট কর্মীদের মধ্যে যারা আছেন তাদের কাছে, বিপরীত অপারেটিং সিস্টেমগুলো বিপরীত মতাদর্শের প্রতিনিধিত্ব করে। অ্যান্ড্রয়েডকে 'জনস্বার্থ' হিসেবে দেখা হয়, যেখানে আইওএস 'মানুষের স্বার্থের' প্রতিনিধিত্ব করে। মাইক্রোসফটের গবেষণা সমাজবিজ্ঞানী মার্ক এ. স্মিথ ব্যাখ্যা করেছেন কিভাবে এই দুটির মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখার প্রয়োজন। তিনি "মুক্ত রাইডার" ধারণাটি বর্ণনা করেছেন যারা জনসাধারণের কল্যাণে অবদান না রেখেই তা ব্যবহার করে। এই ধারণাটি বেশিরভাগ অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীদের জন্য প্রযোজ্য হবে যারা সোর্স কোড প্রাপ্যতা বা পরিবর্তন করেন না।
বিরোধী মতাদর্শের পাশাপাশি এটি বিরোধী [[বিবর্তন|বিবর্তনীয় ব্যাখ্যার]] প্রতিনিধিত্ব করে। এমন ধারণা রয়েছে যে প্রতিযোগিতাই ছিল বিবর্তনের একমাত্র চালিকা শক্তি। এটি আইওএস এবং মালিকানাধীন সফটওয়্যারকে সমাজের জন্য সাধারণত উপকারী হিসাবে ব্যাখ্যা করবে। এর বিরোধিতা করা হয় এই দাবির মাধ্যমে যে সহযোগিতা বিবর্তনের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক এবং বর্ধিত প্রাণীজগতেও এটি প্রতিনিধিত্ব করে। <ref>Rheingold, H. (2003). Smart mobs. Cambridge, MA: Perseus Pub. pg39</ref> লিনাক্সকে বর্ণনা করা হয়েছে, "ডেভেলপারদের দ্বারা প্রবর্তিত মিউটেশনের উপর এক ধরণের দ্রুত ডারউইনীয় নির্বাচন তৈরি করা।" "
অনেক দিক থেকেই অপারেটিং সিস্টেমের স্পষ্ট উল্লেখ ছাড়াই জনপ্রিয় বিতর্কটি ঘটেছে। দুটি সর্বাধিক জনপ্রিয় অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে তারা তাদের নিজস্ব ফ্যান ওয়েবসাইট এবং মিটআপের মাধ্যমে উৎসাহী ভক্তদের আকর্ষণ করেছে। সিস্টেমগুলো গুগল এবং অ্যাপলের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্বদের, যেমন স্টিভ জবসের সাথে সেলিব্রিটির লড়াইয়ে প্রবেশ করেছে, অপারেটিং সিস্টেমের চেয়ে বেশি বিখ্যাত হয়ে উঠেছে। নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক এরিক রোবেলস-অ্যান্ডারসন এবং অন্যান্যরা অ্যাপলকে একটি ' ধর্ম-সংস্কৃতি ' হিসেবে বর্ণনা করেছেন। <ref>http://www.techinsider.io/nyu-professor-says-apple-is-a-cult-2015-9</ref> এটিই ছিল 'ম্যাকহেডস' তথ্যচিত্রের ভিত্তি। অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস-এর এখন বিশাল সংখ্যক প্রতিষ্ঠিত ভক্ত রয়েছে যারা তাদের নিজ নিজ অপারেটিং সিস্টেমের প্রতি অনুগত এবং একে অপরের পণ্য কিনবে না <ref>http://www.telegraph.co.uk/technology/apple/10632787/iPhone-owners-admit-having-blind-loyalty-to-Apple.html</ref>
==== অ্যান্ড্রয়েডের সুবিধা এবং সমালোচনা ====
'''প্রাপ্যতা এবং সামঞ্জস্য'''
ব্যবহারকারীদের কাছে এর বিশাল প্রাপ্যতার জন্য অ্যান্ড্রয়েড ধারাবাহিকভাবে প্রশংসিত হয়। এটি এর উন্মুক্ত উৎসের বৈশিষ্ট্যের প্রত্যক্ষ ফলাফল। অনেক কোম্পানি তাদের পণ্যে অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহার করে। এর ফলে গ্রাহকরা আইওএস পরিচালিত পণ্যের তুলনায় ফোন এবং ট্যাবলেটের একটি উল্লেখযোগ্য বিস্তৃত নির্বাচন থেকে পছন্দ করতে পারেন। বিপুল সংখ্যক অ্যান্ড্রয়েড প্রস্তুত ডিভাইসের কারণে পরবর্তীতে অ্যান্ড্রয়েড ৮০% এরও বেশি শেয়ার নিয়ে বাজারে আধিপত্য বিস্তার করতে সক্ষম হয়েছে। <ref>http://www.idc.com/prodserv/smartphone-os-market-share.jsp</ref> এটি সাধারণত (অ্যাপাচি সফটওয়্যার লাইসেন্স ২.০ (এপিএল২.০), একটি বিনামূল্যের সফটওয়্যার লাইসেন্সের অধীনে পরিচালিত লাইসেন্সের কারণে, নির্মাতারা তাদের নিজস্ব স্পেসিফিকেশন অনুসারে সোর্স কোড পরিবর্তন করতে পারে। <ref>http://www.idc.com/prodserv/smartphone-os-market-share.jsp</ref> এইভাবে অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীরা নির্মাতার উপর নির্ভর করে ভিন্ন অভিজ্ঞতা পেতে পারেন। এটি বৈচিত্র্য এবং পছন্দ বৃদ্ধির কারণে উপকারী বলে মনে করা হয়, তবে বিভিন্ন অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং ডিভাইসের মধ্যে মানের বৈষম্যের জন্য এটি সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছে।
'''কাস্টমাইজেবিলিটি'''
অ্যান্ড্রয়েডে, কাস্টমাইজেশনকে প্রকাশ্যে উৎসাহিত করা হয় এবং তাই এটি অনেক হ্যাকারের কার্যত পছন্দ। কাস্টমাইজেশনের এই সুযোগটি ব্যাপক, যেখানে ব্যবহারকারীরা আরও জটিল কাজ করতে পারবেন, যেমন সোর্স কোডে অবদান রাখা এবং প্রচলিত কাস্টমাইজেশনের ত্রুটিগুলো সনাক্ত করা, যেমন টোয়াইলাইট এবং এয়ারড্রয়েডের মতো অ্যাপ ইনস্টল করা এবং অ্যাপ আইকন পরিবর্তন করা। সোর্স কোডটি উপলব্ধ এবং ব্যবহারকারীদের ইচ্ছানুযায়ী ব্যবহার করার জন্য প্রস্তুত। কাস্টমাইজেশনের সাথে এর ইতিবাচক প্রভাবের দুটি ধারণা রয়েছে; অভ্যন্তরীণ এবং বাহ্যিক। অভ্যন্তরীণ বলতে ব্যবহারকারীর নিজস্ব কাস্টমাইজেশন সম্পাদনের মাধ্যমে অর্জিত সন্তুষ্টি বোঝায়, অন্যদিকে বহির্মুখী বলতে কাস্টমাইজেশনের ফলে হওয়া উন্নতির মাধ্যমে ব্যবহারকারীর সন্তুষ্টি বোঝায় ঠিক যেমন আপনি অ্যাপ ডিজাইন করতে এবং [[গুগল প্লে|গুগল প্লে স্টোরে]] অফার করতে সক্ষম হন, আপনি স্টোরের সোর্স কোডও পরিবর্তন করতে পারেন। এই উন্মুক্ততার ফলে অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ ডাউনলোডের সংখ্যা আইওএস-এর চেয়ে বেশি হয়ে গেছে, যদিও এটি অ্যান্ড্রয়েড এবং অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ ডেভেলপারদের উপর একটি বড় নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে: রাজস্ব হ্রাস। গুগল প্লে অ্যাপলের [[App store (IOS)|অ্যাপ স্টোরের তুলনায় ৭০% কম আয় করে।]]
'''ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা'''
অ্যান্ড্রয়েডের সাথে সঠিক ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা নির্মাতাদের মূল সোর্স কোডের পরিবর্তনের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হয়, যদিও প্রযুক্তি সম্প্রদায়ে সাধারণীকরণ করা যেতে পারে এবং করা হয়েছে। অ্যান্ড্রয়েডের খ্যাতি আইওএসের মতো 'পরিষ্কার' না হওয়া এবং 'খাটো' হওয়ার জন্য উন্মুক্ত উৎসের উৎসের কারণে, এর নকশাটি তার প্রতিযোগীর মতো পরিশীলিত বলে বিবেচিত হয় না এবং 'কার্টুনিশ' হওয়ার জন্য আরও সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছে। অন্যান্য অপারেটিং সিস্টেমের সাথে অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতার তুলনা করে করা একটি জরিপে দেখা গেছে যে এটি IOS এর তুলনায় কম স্কোর করেছে (৫৭.২৫ থেকে ৭৩.২৫) ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো প্রাথমিকভাবে ব্যবহারের সহজতা, বিশেষ করে একজন অ-প্রযুক্তিগত ব্যবহারকারীর জন্য। আরেকটি জরিপে দেখা গেছে যে অ্যান্ড্রয়েডের জ্ঞানীয় লোড সবচেয়ে বেশি, সংশ্লিষ্ট IOS এর তুলনায় চার গুণ বেশি। ধারণা করা হচ্ছে,অ্যান্ড্রয়েড স্বাভাবিকভাবে ব্যবহার করতে আইওএসের তুলনায় বেশি সময় নেয়।
'''গোপনীয়তা'''
অ্যান্ড্রয়েড বিজ্ঞাপন লাইব্রেরিগুলোর উপর গবেষণায় দেখা গেছে যে বিজ্ঞাপনগুলো ব্যবহারকারীর অবস্থান, পরিচিতি, ফোন নম্বর সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহ করতে পারে এবং এমনকি ক্যামেরা এবং মাইক্রোফোনেও প্রাপ্যতা পেতে পারে এটি বিজ্ঞাপনগুলোকে সংগৃহীত তথ্যের উপর ভিত্তি করে তাদের ব্যবহারকারীকে আরও ভালভাবে লক্ষ্য করতে দেয়। যখন কোনও বিজ্ঞাপন আপনার নাম, ঠিকানা এবং সহযোগীদেরও শনাক্ত করতে সক্ষম হয়, তখন এটি আরও গুরুতর গোপনীয়তার সমস্যা হয়ে উঠতে পারে। এটি অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস প্ল্যাটফর্মের জন্য একটি সমস্যা। দেখা গেছে যে গ্রাহকরা প্রায়ই ডিফল্ট গোপনীয়তা বিকল্পগুলোতে সম্মতি জানান। এর ফলে গোপনীয়তা কর্মীরা 'অপ্ট ইন' বৈশিষ্ট্যের জন্য প্রচারণা চালাচ্ছেন, যেমনটি ইইউতে দেখা যায়। এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা একটি বিজ্ঞাপনের প্রাপ্যতা সম্পর্কে আরও স্বচ্ছ ধারণা দিচ্ছেন। যদিও অ্যাপের গোপনীয়তার স্পেসিফিকেশনের জন্য অ্যান্ড্রয়েড সমালোচিত হয়েছে, তবুও অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস উভয়কেই এই আইনগুলো মেনে চলতে হবে। এটি ব্যবহারকারীকে অ্যাপের গোপনীয়তা চুক্তি গ্রহণ বা প্রত্যাখ্যান করার সুযোগ দেয় কিন্তু পরবর্তী সময়ে এতে কোনও পরিবর্তন আনে না। বিপরীতে, IOS ব্যবহারকারীকে গোপনীয়তা চুক্তি গ্রহণের পরে একটি অ্যাপের নির্দিষ্ট প্রাপ্যতা নিষ্ক্রিয় করার সুযোগ দেয়, যেমন ক্যামেরা প্রাপ্যতা নিষ্ক্রিয় করা।
'''ওয়েব ব্রাউজার'''
অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীকে তাদের পছন্দের ডিফল্ট ওয়েব ব্রাউজার নির্ধারণ করতে দেয়। এটি গুগল প্লে স্টোর থেকে একটি তৃতীয় পক্ষের অ্যাপ অধিগ্রহণের মাধ্যমে করা হয় তবে অ্যান্ড্রয়েডের অ্যাপল-বিকশিত ব্রাউজার [[সাফারি (ওয়েব ব্রাউজার)|সাফারিতে]] প্রাপ্যতা নেই; আইওএসের তুলনায় ব্যবহারকারীদের তাদের পছন্দের ব্রাউজারটি সম্পূর্ণরূপে পরিবর্তন করার সুযোগ দেওয়ার জন্য অ্যান্ড্রয়েড প্রশংসিত হয়েছে, যেখানে সাফারি অন্তর্নির্মিত এবং আনইনস্টল করা যায় না।
'''প্রাপ্যতা এবং সামঞ্জস্য'''
IOS উপলব্ধ এবং শুধুমাত্র Apple পণ্যের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এই বৈশিষ্ট্যটি সমালোচিত হয়েছে কারণ এর অর্থ হলো অ্যাপ স্টোর এবং গুগল প্লে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়, তাই ব্যবহারকারীরা অ্যাপগুলোতে একই স্তরের প্রাপ্যতা পান না। যদিও অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম ওপেন সোর্স, গুগল প্লে নয়। শুধুমাত্র অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীরা এটি ব্যবহার করতে পারবেন। আইওএসের বাজার শেয়ার ১৩.৯। % <ref>http://www.idc.com/prodserv/smartphone-os-market-share.jsp</ref> মানে IOS ব্যবহারকারীরা সংখ্যালঘু।
'''কাস্টমাইজেবিলিটি'''
IOS সোর্স কোড কোনওভাবেই ব্যবহারকারীর জন্য কাস্টমাইজযোগ্য নয়। এটি অনেককে ক্ষুব্ধ করেছে এবং জেলব্রেকিংয়ের এখন সাধারণ এবং আইনত অস্পষ্ট প্রথার দিকে পরিচালিত করেছে। এই অনুশীলনের মধ্যে রয়েছে [[ডিজিটাল অধিকার ব্যবস্থাপনা|ডিজিটাল রাইটস ম্যানেজমেন্ট (DRM)]] বিধিনিষেধ উপেক্ষা করা এবং সফটওয়্যার পরিবর্তন করা। এটি মূলত "একটি পরিবর্তিত কার্নেল প্যাচ সেট (কার্নেল অপারেটিং সিস্টেমের তত্ত্বাবধায়ক) ইনস্টল করার প্রক্রিয়া যা আপনাকে স্বাক্ষরবিহীন কোড চালানোর সুযোগ দেয়" হিসাবে ভাবা যেতে পারে। অ্যাপল উন্নত আপডেটের মাধ্যমে জেলব্রেকিং সীমিত করার চেষ্টা করেছে। অ্যাপলের সাপোর্ট পেজে জেলব্রেকিংয়ের অসুবিধাগুলো ব্যাখ্যা করা হয়েছে;
* নিরাপত্তা দুর্বলতা: আপনার ডিভাইস জেলব্রেক করলে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য এবং আপনার iOS ডিভাইস সুরক্ষিত রাখার জন্য তৈরি নিরাপত্তা স্তরগুলো দূর হয়ে যায়। আপনার iOS ডিভাইস থেকে এই নিরাপত্তা ব্যবস্থা সরিয়ে ফেলা হলে, হ্যাকাররা আপনার ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করতে পারে, আপনার ডিভাইসের ক্ষতি করতে পারে, আপনার নেটওয়ার্ক আক্রমণ করতে পারে, অথবা ম্যালওয়্যার, স্পাইওয়্যার বা ভাইরাস প্রবেশ করাতে পারে।
* অস্থিরতা: ডিভাইসের ঘন ঘন এবং অপ্রত্যাশিত ক্র্যাশ, বিল্ট-ইন অ্যাপ এবং থার্ড-পার্টি অ্যাপের ক্র্যাশ এবং ফ্রিজ, এবং ডেটা হারানো।
* ব্যাটারির আয়ু কমে গেছে: হ্যাক করা সফটওয়্যারটির কারণে ব্যাটারি দ্রুত শেষ হয়ে গেছে। এটি একবার ব্যাটারি চার্জ করলেই আইফোন, আইপ্যাড বা আইপড টাচের কাজকর্ম কমিয়ে দেয়।
* অবিশ্বস্ত ভয়েস এবং ডেটা: কল বন্ধ, ধীর বা অবিশ্বস্ত ডেটা সংযোগ, এবং বিলম্বিত বা ভুল অবস্থান ডেটা।
* পরিষেবার ব্যাঘাত: ভিজ্যুয়াল ভয়েসমেইল, আবহাওয়া এবং স্টকের মতো পরিষেবাগুলো ডিভাইসে ব্যাহত হয়েছে অথবা আর কাজ করছে না। এছাড়াও, অ্যাপল পুশ নোটিফিকেশন সার্ভিস ব্যবহারকারী তৃতীয় পক্ষের অ্যাপগুলোর বিজ্ঞপ্তি পেতে অসুবিধা হয়েছে অথবা এমন বিজ্ঞপ্তি পেয়েছে যা অন্য কোনও হ্যাক করা ডিভাইসের জন্য তৈরি। [[আইক্লাউড|iCloud]] এবং Exchange-এর মতো অন্যান্য পুশ-ভিত্তিক পরিষেবাগুলো তাদের নিজ নিজ সার্ভারের সাথে ডেটা সিঙ্ক্রোনাইজ করতে সমস্যায় পড়েছে।
* ভবিষ্যতে সফটওয়্যার আপডেট প্রয়োগ করতে অক্ষমতা: কিছু অননুমোদিত পরিবর্তন iOS-এর এমন ক্ষতি করেছে যা মেরামতযোগ্য নয়। এর ফলে ভবিষ্যতে অ্যাপল-সরবরাহকৃত iOS আপডেট ইনস্টল করার সময় হ্যাক হওয়া আইফোন, আইপ্যাড, বা আইপড টাচ স্থায়ীভাবে অকার্যকর হয়ে যেতে পারে।
'''ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা'''
আইওএস-এর ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতার জন্য অ্যাপল মূলত প্রশংসিত হয়েছে। এটি 'নান্দনিক অখণ্ডতা' এবং 'ধারাবাহিকতা' নীতির উপর নির্ভর করে অ্যাপল উল্লেখ করেছে যে নান্দনিকতার সাথে এটি সৌন্দর্য সম্পর্কে খুব বেশি কিছু নয় বরং, "একটি অ্যাপের চেহারা এবং আচরণ কতটা ভালোভাবে তার কার্যকারিতার সাথে একটি সুসংগত বার্তা পাঠায় তা বোঝায়।" "আইওএস-এর অ্যাপ স্টোরে অ্যান্ড্রয়েডের গুগল প্লে-এর তুলনায় কঠোর নির্দেশিকা রয়েছে।" এটি ইতিবাচক নাকি নেতিবাচক বৈশিষ্ট্য তা নিয়ে মতবিরোধ রয়েছে। IOS-এর 'ধারাবাহিকতা' নীতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ, সমস্ত অ্যাপই মানুষের দ্বারা পর্যালোচনা করা হয়, সম্প্রতি অ্যান্ড্রয়েডও এই বৈশিষ্ট্যটি গ্রহণ করেছে। এটিকে আইওএসের কঠোর নির্দেশিকাগুলো ইতিবাচক বলে গ্রহণযোগ্যতা হিসেবে দেখা হচ্ছে।
'''ওয়েব ব্রাউজার'''
গুগল ক্রোম এবং ফায়ারফক্সের মতো একাধিক উন্মুক্ত উৎসের ওয়েব ব্রাউজার আইওএস সহ অ্যাপ স্টোর থেকে ডাউনলোডের জন্য উপলব্ধ। তবে Safari হলো বিল্ট-ইন ইন্টারনেট ব্রাউজার, এবং তাই, খোলা যেকোনো লিঙ্ক Safari তে পুনঃনির্দেশিত হবে ব্যবহারকারীদের দ্বারা Safari প্রশংসিত এবং সমালোচিত উভয়ই হয়েছে। অ্যাপল তার ব্রাউজারগুলো (সাফারি, ক্রোম, ফায়ারফক্স ইত্যাদি) ওয়েবকিট তে চালায় তাই গতি ধারাবাহিকভাবে বেশি থাকে। 'ট্র্যাক করবেন না' বৈশিষ্ট্যটি সমর্থন করার জন্য সাফারিও প্রশংসিত হয়েছে। স্মার্টফোনের গোপনীয়তা নিয়ে উদ্বিগ্ন ব্যক্তিদের জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি বিজ্ঞাপনদাতাদের অনলাইনে আপনার ট্র্যাক করা বন্ধ করে দেয়। তবে আইওএসের মালিকানাধীন প্রকৃতির কারণে, তারা অন্যান্য ওয়েব ব্রাউজারগুলোতে এই ফাংশনের প্রাপ্যতা সীমিত করেছে, তাদের সাফারি ব্যবহারে রাজি করার একটি ধারণাগত প্রচেষ্টা হিসেবে। তৃতীয় পক্ষের ব্রাউজারগুলোতে IOS-এর আরও অনেক বিধিনিষেধ রয়েছে। যেহেতু Safari iOS-এ অন্তর্নির্মিত, তাই সিস্টেম ক্র্যাশ বিশ্বব্যাপী একাধিক ডিভাইসের বেশিরভাগ IOS ব্যবহারকারীকে প্রভাবিত করবে। ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে এই ঘটনাটি ঘটেছিল যখন কোনও ব্যবহারকারী অ্যাড্রেস বারে কিছু অনুসন্ধান করলে একটি বাগ সাফারি ক্র্যাশ করে
==== অ্যান্ড্রয়েড প্ল্যাটফর্ম নিরাপত্তা ====
'''অ্যান্ড্রয়েড নিরাপত্তা প্রতিশ্রুতি'''
অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল প্ল্যাটফর্মের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ এবং ব্যবহারযোগ্য অপারেটিং সিস্টেম হতে চায়, ঐতিহ্যবাহী অপারেটিং সিস্টেমের নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রণগুলোকে পুনঃউদ্দেশ্য দিয়ে:
* ব্যবহারকারীর ডেটা সুরক্ষিত করুন
* সিস্টেম রিসোর্স (নেটওয়ার্ক সহ) সুরক্ষিত করুন
* অ্যাপ্লিকেশন আইসোলেশন প্রদান করুন
এই লক্ষ্যগুলো অর্জনের জন্য, অ্যান্ড্রয়েড এই গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্যগুলো প্রদান করে:
* লিনাক্স কার্নেলের মাধ্যমে অপারেটিং সিস্টেম স্তরে শক্তিশালী নিরাপত্তা
* সকল অ্যাপ্লিকেশনের জন্য বাধ্যতামূলক অ্যাপ্লিকেশন স্যান্ডবক্স
* নিরাপদ আন্তঃপ্রক্রিয়া যোগাযোগ
* আবেদনপত্র স্বাক্ষর
* অ্যাপ্লিকেশন-সংজ্ঞায়িত এবং ব্যবহারকারী-প্রদত্ত অনুমতি
'''অ্যান্ড্রয়েড নিরাপত্তা সমালোচনা'''
অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ্লিকেশনগুলো একটি স্যান্ডবক্সে চলে। এটি সিস্টেমের একটি বিচ্ছিন্ন এলাকা যেখানে সিস্টেমের বাকি সংস্থানগুলোতে প্রাপ্যতা থাকে না, যদি না অ্যাপ্লিকেশনটি ইনস্টল করার সময় ব্যবহারকারী দ্বারা স্পষ্টভাবে প্রাপ্যতাের অনুমতি দেওয়া হয়। যদিও, Felt & Chin (২০১২) এর পর্যবেক্ষণ অনুযাতী, "'স্যান্ডবক্সিং' এবং অনুমতি ব্যবস্থা অ্যাপ্লিকেশনগুলোতে দুর্বলতা এবং বাগের প্রভাব কমায়। কিন্তু ডেভেলপারদের বিভ্রান্তি এবং সীমিত ডকুমেন্টেশনের ফলে অ্যাপ্লিকেশনগুলো নিয়মিতভাবে অপ্রয়োজনীয় অনুমতির অনুরোধ করে। এর ফলে এর কার্যকারিতা হ্রাস পায়"। এর উপরে, এটিও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে যে অ্যান্ড্রয়েডের ফ্র্যাগমেন্টেশন নিরাপত্তার জন্যও একটি সমস্যা। কারণ মূল অপারেটিং সিস্টেমে পাওয়া বাগের প্যাচগুলো প্রায়ই পুরানো এবং কম দামের ডিভাইসের ব্যবহারকারীদের কাছে পৌঁছায় না (কিংসলে-হিউজেস, ২০১৫)। অধিকন্তু, কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় দুর্বলতার উপর গবেষণা চালিয়েছে, যেখানে তারা এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে যে "বিক্রেতাদের প্যাচ এবং আপডেট সহ পুরানো ডিভাইসগুলোকে সমর্থন করতে ব্যর্থতার ফলে সক্রিয় ডিভাইসগুলোর সাতাশি শতাংশেরও বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে" (থমাস, বেরেসফোর্ড এবং রাইস ২০১৪)।
'''নম্বর অনুসারে অ্যান্ড্রয়েড'''
২০১৩ সালের ৩ সেপ্টেম্বরের তথ্য অনুযায়ী গুগল প্লে অ্যাপ স্টোর এক বিলিয়নেরও বেশি অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস সক্রিয় করেছে। আনুমানিক হিসাব অনুসারে, ৪০০ টিরও বেশি অ্যাপ্লিকেশন কমপক্ষে এক কোটি বার এবং ৮০০ টিরও বেশি অ্যাপ্লিকেশন কমপক্ষে পাঁচ কোটি বার ইনস্টল করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এই অ্যাপগুলো হলো গুগল প্লে অ্যাপ যার ডাউনলোড সংখ্যা অনন্য ডিভাইসে এক বিলিয়নেরও বেশি। ২০১৫ সালের ২৫শে জুন তারিখের তথ্য অনুযায়ী এই শীর্ষ বিভাগে স্থান পাওয়ার জন্য ১২টি অ্যাপ্লিকেশন রয়েছে। এগুলোর প্রতিটিই গুগল অথবা ফেসবুকের মালিকানাধীন:
# জিমেইল
# গুগল ম্যাপস
# ইউটিউব
# ফেসবুক
# গুগল সার্চ
# গুগল+
# হোয়াটসঅ্যাপ
# গুগল টেক্সট-টু-স্পিচ
# গুগল বই
# বার্তাবহ
# গুগল হ্যাঙ্গআউট
# গুগল ক্রোম
'''আইওএস প্ল্যাটফর্ম নিরাপত্তা'''
প্রতিটি iOS ডিভাইস সর্বাধিক নিরাপত্তা এবং স্বচ্ছ ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতার জন্য একসাথে কাজ করার জন্য ডিজাইন করা সফটওয়্যার, হার্ডওয়্যার এবং পরিষেবাগুলোকে একত্রিত করে। iOS কেবল ডিভাইস এবং এর ডেটাই সুরক্ষিত রাখে না, বরং সমগ্র ইকোসিস্টেমকে সুরক্ষিত রাখে, যার মধ্যে রয়েছে স্থানীয়ভাবে, নেটওয়ার্কে এবং গুরুত্বপূর্ণ ইন্টারনেট পরিষেবাগুলোর মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা যা কিছু করেন তা। iOS-এর অনেক নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য ডিফল্টরূপে সক্রিয় থাকে, তাই আইটি বিভাগগুলোকে ব্যাপক কনফিগারেশন সম্পাদনের প্রয়োজন হয় না। এবং ডিভাইস এনক্রিপশনের মতো গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্যগুলো কনফিগারযোগ্য নয়, তাই ব্যবহারকারীরা ভুল করেও সেগুলো অক্ষম করতে পারবেন না। অন্যান্য বৈশিষ্ট্য, যেমন টাচ আইডি, ডিভাইসটিকে সুরক্ষিত করা সহজ এবং আরও স্বজ্ঞাত করে ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা উন্নত করে।
'''আইওএস নিরাপত্তা প্রতিশ্রুতি'''
অ্যাপল নিরাপত্তার বিষয়টিকে কেন্দ্র করে iOS প্ল্যাটফর্মটি ডিজাইন করেছে। যখন আমরা সর্বোত্তম সম্ভাব্য মোবাইল প্ল্যাটফর্ম তৈরির লক্ষ্যে যাত্রা শুরু করি, তখন আমরা কয়েক দশকের অভিজ্ঞতা থেকে সম্পূর্ণ নতুন একটি স্থাপত্য তৈরি করি। ফলস্বরূপ, মোবাইল ডিভাইসের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে iOS একটি বড় অগ্রগতি।
আইওএস সিকিউরিটি নিম্নলিখিত বৈশিষ্ট্যগুলো প্রদান করতে চায়:
* সিস্টেম নিরাপত্তা: সমন্বিত এবং সুরক্ষিত সফটওয়্যার এবং হার্ডওয়্যার যা প্ল্যাটফর্ম
আইফোন, আইপ্যাড এবং আইপড টাচের জন্য।
* এনক্রিপশন এবং ডেটা সুরক্ষা: স্থাপত্য এবং নকশা যা ব্যবহারকারীর ডেটা সুরক্ষিত রাখে যদি
ডিভাইসটি হারিয়ে গেলে বা চুরি হয়ে গেলে, অথবা যদি কোনও অননুমোদিত ব্যক্তি এটি ব্যবহার বা পরিবর্তন করার চেষ্টা করে।
* অ্যাপ নিরাপত্তা: এমন সিস্টেম যা অ্যাপগুলোকে নিরাপদে এবং আপস ছাড়াই চালাতে সক্ষম করে
* নেটওয়ার্ক নিরাপত্তা: ট্রান্সমিশনে ডেটার প্রমাণীকরণ এবং এনক্রিপশনের মাধ্যমে শিল্প-মানক নেটওয়ার্কিং প্রোটোকল যা নিরাপদ প্রদান করে ।
* অ্যাপল পে: অ্যাপলের নিরাপদ পেমেন্ট বাস্তবায়ন।
* ইন্টারনেট পরিষেবা: মেসেজিং, সিঙ্কিং এবং ব্যাকআপ।
* ডিভাইস কন্ট্রোল: এমন পদ্ধতি যা ডিভাইসের অননুমোদিত ব্যবহার প্রতিরোধ করে এবং সক্ষম করে। এর মাধ্যমে হারিয়ে গেলে বা চুরি হয়ে গেলে দূর থেকে মুছে ফেলা হবে।
* প্রাইভেসি কন্ট্রোল: iOS এর ক্ষমতা যা লোকেশন প্রাপ্যতা নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যবহার করা যেতে পারে
'''আইওএস নিরাপত্তা সমালোচনা'''
নিরাপত্তা হুমকি মোকাবেলায় অ্যাপলের উন্মুক্ততা নিয়ে বিশেষজ্ঞ এবং সাংবাদিক উভয়ই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। বিশেষ করে তারা আশঙ্কা করছে যে অ্যাপল তার নিরাপত্তা দুর্বলতা সম্পর্কে জনসাধারণকে অবহিত করার জন্য পদক্ষেপ না নিয়ে তার ক্লায়েন্টদের বিপদে ফেলবে। তবে অ্যাপল পণ্যের নিরাপত্তা দুর্বলতা সম্পর্কে জনগণের সচেতনতার অভাব জনসাধারণকে বিভ্রান্ত করার জন্য অ্যাপলের সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। এটি বছরের পর বছর ধরে বেড়েছে (ভিয়েগা, ২০০৯)। এই সমালোচনা অ্যাপলের সময়মতো নিরাপত্তা আপডেট সহ তার পণ্যগুলো আপডেট করতে ব্যর্থতার দিকেও দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। কিছু বিশেষজ্ঞের মতে, সামগ্রিকভাবে, অ্যাপল পণ্যগুলোতে হ্যাকারদের আক্রমণ বা ভাইরাস/ম্যালওয়্যার দ্বারা সংক্রামিত হওয়ার সম্ভাবনা কম, যদিও তারা জোর দিয়ে বলেন যে এটি মূলত অ্যাপল পণ্যগুলোতে আক্রমণে হ্যাকারদের আগ্রহের অভাবের কারণে, যদিও iCloud এবং অ্যাপল ডিভাইসগুলোকে ঘিরে সাম্প্রতিক নিরাপত্তা হুমকিগুলো অন্যথার ইঙ্গিত দেয়।
২০১৩ সালের জুন মাসে দ্য গার্ডিয়ান এবং দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট উভয়ের দ্বারা ফাঁস হওয়া জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার নথি উন্মোচিত হওয়ার পর অ্যাপলের উপর আরেকটি দ্বিধা তৈরি হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। নথিগুলোতে বলা হয়েছে যে অ্যাপল আমেরিকান কোম্পানিগুলোর তালিকায় রয়েছে যারা অভিযোগ করে যে PRISM-এর সাথে সহযোগিতা করে। এটি সরকারকে গোপনে আমেরিকান কোম্পানিগুলোর দ্বারা হোস্ট করা অ-আমেরিকান নাগরিকদের ডেটা প্রাপ্যতা করার সুযোগ দেয় কোনও ওয়ারেন্ট ছাড়াই। সরকারি কর্মকর্তারা এই প্রোগ্রামের অস্তিত্ব স্বীকার করেছেন। এটি থেকে বোঝা যায় যে "এনএসএ-র ওই কোম্পানিগুলোর সার্ভারগুলোতে সরাসরি প্রবেশাধিকার রয়েছে, এবং ফাঁসের আগের বছরগুলোতে প্রোগ্রামের মাধ্যমে সংগৃহীত তথ্যের পরিমাণ দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছিল" (স্যাভেজ, ২০১৩)। অ্যাপল এই প্রোগ্রাম সম্পর্কে কোনও জ্ঞান থাকার কথা অস্বীকার করেছে।
অ্যাপল এখনও iOS নিরাপদ বলে দাবি করে। তবে iOS নিরাপত্তা সংক্রান্ত সাম্প্রতিক কেলেঙ্কারির পর অনেক ব্যবহারকারী ভিন্ন মত পোষণ করবেন। ২০১৫ সালের ২০ সেপ্টেম্বরের দিকে চিহ্নিত সর্বশেষ নিরাপত্তা সংক্রান্ত দুর্নীতির ঘটনাগুলো হলো, চীনে অবস্থিত কিছু ডেভেলপার iOS অ্যাপ স্টোরের জন্য অ্যাপ তৈরি করতে ভুল প্রোগ্রাম ব্যবহার করেছেন।<ref>http://www.macworld.co.uk/feature/iosapps/is-ipad-iphone-ios-safe-xcodeghost-what-security-software-need-3453938/</ref> ধারণা করা হচ্ছে যে ডেভেলপাররা Xcode-এর একটি নকল সংস্করণ ডাউনলোড করেছেন। কারণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে হোস্ট করা অ্যাপলের নিজস্ব সার্ভার থেকে ডাউনলোড করতে অনেক সময় লাগছিল। Xcode-এর মোট আকার প্রায় ৩.৯ গিগাবাইট। চীনা ডেভেলপাররা অ্যাপলের নিজস্ব Xcode-এর পরিবর্তে XcodeGhost ব্যবহার করছিলেন। প্রভাবিত অ্যাপগুলো চীনা হলেও সেগুলোর মধ্যে অ্যাংরি বার্ডস ২-এর মতো কয়েকটি জনপ্রিয় অ্যাপ ছিল। যদিও রোভিও নিশ্চিত করেছে যে অ্যাংরি বার্ডস ২-এর শুধুমাত্র চীনা অ্যাপ স্টোর সংস্করণটি ঝুঁকিপূর্ণ।9to5Mac অনুসারে, শীঘ্রই এর সমাধান আসছে। কিন্তু সাম্প্রতিক নিরাপত্তার কৃতিত্বের পাশাপাশি, ২০১৪ সালটি এমন একটি বছর হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে যেখানে IOS-এর নিরাপত্তা দুর্বলতা সর্বকালের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে বেশ কয়েকটি নিরাপত্তা ত্রুটি চিহ্নিত করা হয়েছিল। এর ফলে যদি ব্যবহারকারী একটি অরক্ষিত হটস্পট ব্যবহার করেন, সম্ভবত একটি ইন্টারনেট ক্যাফেতে একজন আক্রমণকারীর পক্ষে ব্যবহারকারীর ডেটা আটকানো সম্ভব হয়েছিল ।
'''সংখ্যা অনুসারে আইওএস'''
অ্যান্ড্রয়েডের পরে iOS হলো বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বাধিক জনপ্রিয় মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আইপ্যাডের বিক্রি অ্যান্ড্রয়েডের চেয়েও পিছিয়ে। যদিও ওয়েব ব্যবহারের (সকল ব্যবহারের জন্য একটি প্রক্সি) দিক থেকে আইপ্যাড (আইওএস ব্যবহার করে) এখনও সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়। ২০১২ সালের মাঝামাঝি সময়ে ৪১ কোটি ডিভাইস সক্রিয় করা হয়েছিল। WWDC ২০১৪-তে, টিম কুক বলেছিলেন, ২০১৪ সালের জুন নাগাদ ৮০০ মিলিয়ন ডিভাইস বিক্রি হয়েছে। ২৭ জানুয়ারি, ২০১৫ তারিখে অ্যাপলের ত্রৈমাসিক আয়ের আহ্বানের সময়, অ্যাপল ঘোষণা করে যে ২০০৭ সাল থেকে তারা এখন এক বিলিয়ন iOS ডিভাইস বিক্রি করেছে (শুধুমাত্র ২০১৪ সালে বিক্রি হওয়া অ্যান্ড্রয়েডের তুলনায় একটু কম)। ১৬ জানুয়ারি, ২০০৯ তারিখে, অ্যাপল তার ওয়েবসাইটে ঘোষণা করে যে ৫০ কোটি অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড করা হয়েছে। বিলিয়নতম অ্যাপ্লিকেশনটি ২৩শে এপ্রিল, ২০০৯ তারিখে ডাউনলোড করা হয়েছিল। ৩ মার্চ, ২০১২ তারিখে, ডাউনলোড করা অ্যাপের সংখ্যা ২৫ বিলিয়নে পৌঁছেছে। ৮ জুন, ২০১৫ তারিখে, অ্যাপল ঘোষণা করে যে অ্যাপ স্টোর ১০০ বিলিয়ন ডাউনলোড অতিক্রম করেছে।
ডিসেম্বর ২০১৪-এর সবচেয়ে বেশি ডাউনলোড হওয়া আইফোন এবং আইপ্যাড অ্যাপগুলোর তালিকা এখানে দেওয়া হলো: (পেইড/ ফ্রি)
# ক্ল্যাশ অফ ক্ল্যানস / অ্যাংরি বার্ডস ২
# মাইনক্রাফট / স্ন্যাপচ্যাট
# আফটারলাইট / ইউটিউব
# প্লেগ ইনকর্পোরেটেড / ফেসবুক
# স্লিপ সাইকেল অ্যালার্ম ক্লক / ইনস্টাগ্রাম
# ফেসটিউন / প্যান্ডোরা রেডিও
# কাট দ্য রোপ ২ / গুগল ম্যাপস
# ব্লুনস টিডি ৫ / ফ্লিপগ্রাম
# একটি অন্ধকার ঘর / স্পটিফাই
# ৭ মিনিট ওয়ার্কআউট চ্যালেঞ্জ / ২০৪৮
=== ওয়েব ব্রাউজার ===
==== ভূমিকা ====
[[ওয়েব ব্রাউজার]] হলো এমন অ্যাপ্লিকেশন যা একসময় ব্যবহারকারীদের ইন্টারনেট প্রাপ্যতা এবং ব্যবহার করার সুযোগ দেওয়ার জন্য ব্যবহার করা হত। কিন্তু প্রযুক্তি যত উন্নত হচ্ছে, ততই আমরা ব্রাউজারটি খোলার জন্য আরও বেশি ব্যবহার খুঁজে পাচ্ছি। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, ব্যবহারকারী ইন্টারফেস এবং এক্সটেনশনের মতো সহজ বৈশিষ্ট্যগুলো গ্রাহকদের মধ্যে সিদ্ধান্ত প্রক্রিয়ার অংশ হয়ে উঠেছে যখন তারা কোন ওয়েব ব্রাউজার ব্যবহার করবেন তা সিদ্ধান্ত নেন।
প্রথম ওয়েব ব্রাউজারটি তৈরি করা হয়েছিল কেবল WorldWideWeb (পরবর্তীতে নামটি নেক্সাসে পরিবর্তিত হয়)। [[টিম বার্নার্স-লি|স্যার টিম বার্নার্স-লি]] ১৯৯০ সালে এটি তৈরি করেন। সময়ের সাথে সাথে এবং প্রযুক্তির উন্নতির সাথে সাথে, সহজেই প্রাপ্যতাযোগ্য ব্রাউজারের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়, যার কিছুক্ষণ পরেই ১৯৯২ সালে Erwise মুক্তি পায় এবং এটি গ্রাফিক্যাল ইউজার ইন্টারফেস সহ প্রথম সাধারণভাবে প্রাপ্যতাযোগ্য ব্রাউজার ছিল। তবে ১৯৯৩ সালে [[মোজাইক (ব্রাউজার)|মোজাইক]] মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই জনসাধারণের কাছে একটি সহজে অতিক্রমযোগ্য লেআউট উপস্থাপন করা হয়েছিল, যেখানে এটি ব্যবহারকারী সকলের জন্য আরও সুগম ব্যবহারকারী ইন্টারফেসের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করা হয়েছিল। মোজাইকে বাস্তবায়িত অনেক বৈশিষ্ট্য এখনও বর্তমান জনপ্রিয় ব্রাউজারগুলোতে বিদ্যমান, যেমন উপরে একটি URL বার এবং পিছনে/ফরোয়ার্ড বোতাম।
বর্তমানে, বাজারে পাঁচটি ব্রাউজার আধিপত্য বিস্তার করছে; [[ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার]], [[মোজিলা ফায়ারফক্স|ফায়ারফক্স]], [[গুগল ক্রোম|গুগল ক্রোম,]] [[সাফারি (ওয়েব ব্রাউজার)|সাফারি]] এবং [[অপেরা (ওয়েব ব্রাউজার)|অপেরা]] । এই পাঁচটি ব্রাউজারে বেশিরভাগই কিছুটা উন্মুক্ত উৎসের। সোর্স কোডের কিছু দিক সকলের জন্য প্রাপ্যতাযোগ্য। এর একমাত্র ব্যতিক্রম ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার। এটি ১৯৯৫ সালে প্রকাশের পর থেকে সম্পূর্ণ মালিকানাধীন।
==== ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের আধিপত্য এবং পতন ====
ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার প্রথম আত্মপ্রকাশ করে ১৯৯৫ সালে যা [[মাইক্রোসফট কর্পোরেশন|মাইক্রোসফট]] দ্বারা উইন্ডোজ ৯৫ অ্যাড-অন প্যাকেজের অংশ হিসেবে তৈরি করা হয়েছিল এবং লঞ্চের সময় এটি অত্যন্ত সফল হয়েছিল। ২০০০-এর দশকের গোড়ার দিকে, ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার বাজারের বেশিরভাগ অংশ দখল করে রেখেছিল, ২০০৩ সালে ৯৫%-এ পৌঁছেছিল। তবে অন্যান্য জনপ্রিয় ওয়েব ব্রাউজারগুলোর উত্থানের সাথে সাথে, বাজারে ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের আধিপত্য এখন প্রায় হাস্যকর বলে মনে হচ্ছে, ব্রাউজারটি অনেক ইন্টারনেট রসিকতার মূল বিষয়। যদিও এটি শীর্ষ পাঁচটি সর্বাধিক ব্যবহৃত ব্রাউজারের মধ্যে রয়ে গেছে, তবুও এর জনপ্রিয়তা এবং খ্যাতি এখনও ক্ষতিগ্রস্ত এবং ক্রমাগত হ্রাস পাচ্ছে এমন ব্যবহারের পরিসংখ্যান তা প্রতিফলিত করে। <ref>http://gs.statcounter.com/#all-browser-ww-monthly-200812-201602</ref>
ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের ইতিহাসে এমন অনেক বিষয় রয়েছে যা মানুষ এর জনপ্রিয়তা হ্রাসের কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছে, যার মধ্যে কিছু বিষয় এই সত্যকে প্রতিফলিত করে যে IE প্রকৃতিগতভাবে সম্পূর্ণ মালিকানাধীন। প্রথমত, ২০০১ সালে ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের ষষ্ঠ প্রধান সংস্করণ, IE6- এর মুক্তিকে এই মুহূর্তগুলোর মধ্যে একটি বলে মনে করা হয়। [[ম্যালওয়্যার]] এবং অন্যান্য নিরাপত্তা লঙ্ঘনের বৃহৎ সমস্যা দেখা দেওয়ার সাথে সাথে, বিশেষজ্ঞরা ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার ব্যবহারকারীদের অন্যান্য নির্ভরযোগ্য ব্রাউজারে স্যুইচ করার পরামর্শ দিতে শুরু করেছেন। <ref>https://www.schneier.com/blog/archives/2004/12/safe_personal_c.html</ref> ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের একটি সাধারণ অভিযোগ হলো এই ধরণের সমস্যা আবিষ্কার করা এবং সমস্যাটি সমাধানের জন্য একটি প্যাচ প্রকাশ করার মধ্যে সময় লাগে। এটি প্রায়ই এর মালিকানাধীন প্রকৃতির কারণে হয়। এই ধরনের সমস্যা সমাধানের জন্য একটি নিবেদিতপ্রাণ দল থাকার অর্থ হলো, যখন কোনও পরিচিত সমস্যা দেখা দেয় তখন সহায়তা পাওয়া সহজ হয়, তবে নিরাপত্তার বিষয়গুলোর সমাধান খুঁজে বের করার ক্ষেত্রে, উন্মুক্ত উৎসের উপাদানগুলো প্রায়ই সম্প্রদায়গুলোকে দ্রুত সমাধান খুঁজে বের করার জন্য বিনিয়োগ করে এবং তাই তারা একটি পৃথক দলের চেয়ে দ্রুত সমাধান তৈরি এবং প্রকাশ করতে পারে।
ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের পতনের কথা বলার সময় আরেকটি আকর্ষণীয় বিবেচ্য বিষয় হলো হার্ডওয়্যার IE এর সাথে সম্পর্কিত। ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার প্রায়ই মাইক্রোসফট পণ্যের সাথে প্যাকেজ করা হয়, বিশেষ করে উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম এবং এক্সবক্স ৩৬০। তবে যখন ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার প্রাধান্য পেয়েছিল, তখন এটি আরও অনেক ডিভাইসে প্রাপ্যতাযোগ্য ছিল, বিশেষ করে [[ম্যাকিন্টশ|ম্যাকিনটোশ কম্পিউটারে]] । ম্যাকিনটোশ ব্যবহারকারীদের মধ্যে জনপ্রিয় হওয়া সত্ত্বেও, মাইক্রোসফট ঘোষণা করে যে তারা ২০০৫ সালে ম্যাকিনটোশ কম্পিউটারে ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের ডেভেলপমেন্ট বন্ধ করার পরিকল্পনা করছে। যেহেতু IE একটি মালিকানাধীন ব্রাউজার, তাই এটি ডেভেলপমেন্টের দৃষ্টিকোণ থেকে অনেক অর্থবহ। এটি উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের ডেভেলপমেন্টের উপর আরও বেশি মনোযোগ দেওয়ার সুযোগ করে দেয়। তবে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্নতার ফলে বাজারের একটি বৃহৎ অংশ সম্পূর্ণরূপে প্রাপ্যতাযোগ্য হয়ে ওঠে না, এমন একটি সমস্যা যা সফটওয়্যারটি উন্মুক্ত উৎসের হলে বিদ্যমান থাকত না। এই কোড ব্যবহারের মাধ্যমে, ম্যাকিনটোশ ব্যবহারকারীরা নিজেরাই সফটওয়্যারটি আপডেট করতে পারবেন এবং তাদের পছন্দের কম্পিউটারে চালানোর জন্য ব্রাউজারগুলো আপডেট করার পদ্ধতিগুলো বের করতে পারবেন। এই বিশেষ উদাহরণে, মনে হচ্ছে একটি উন্মুক্ত উৎসের ব্রাউজার থাকা বৃহত্তর দর্শকদের কাছে পৌঁছানোর ক্ষেত্রে আরও উপকারী।
==== ফায়ারফক্সের আধিপত্য এবং পতন ====
২০০৪ সালের শেষের দিকে, [[মোজিলা|মজিলা]] ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে মজিলা ফায়ারফক্স প্রকাশ করে। এটি সম্পূর্ণরূপে উন্মুক্ত উৎসের ওয়েব ব্রাউজার। এটি এর গতি, নিরাপত্তা এবং ব্রাউজার এক্সটেনশনের মতো নতুন বৈশিষ্ট্যগুলোর জন্য ব্যাপক প্রশংসা লাভ করে, যাকে অ্যাড-অনও বলা হয়। অধিকন্তু, উন্মুক্ত উৎসের ইন নেচার হওয়ায় ফায়ারফক্স ব্যবহারকারীদের ইন্টারনেটের সাথে কীভাবে যোগাযোগ করা যায় সে সম্পর্কে আরও স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছিল। এটি মজিলা ম্যানিফেস্টোর দ্বিতীয় দাবি "ইন্টারনেট একটি বিশ্বব্যাপী পাবলিক রিসোর্স যা উন্মুক্ত এবং প্রাপ্যতাযোগ্য থাকা উচিত" দ্বারা সবচেয়ে ভালোভাবে অনুমান করা হয়েছে। <ref>https://www.mozilla.org/en-GB/about/manifesto/</ref>
একটি উন্মুক্ত উৎসের ব্রাউজার হিসেবে, ফায়ারফক্স তৃতীয় পক্ষের ডেভেলপমেন্ট থেকে উপকৃত হয়, বিশেষ করে অ্যাড-অনগুলোর মাধ্যমে যা ব্যবহারকারীদের ব্রাউজারটি কীভাবে কাজ করে তা নিয়ন্ত্রণ করতে দেয়। ফায়ারফক্সের কোড সকলের জন্য উপলব্ধ হওয়ার সাথে সাথে, গ্রাহকদের তাদের ব্রাউজিং অভিজ্ঞতায় ইচ্ছামত বৈশিষ্ট্য যোগ করার জন্য এক্সটেনশন তৈরি করার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল, যেমন অ্যাডব্লকের মতো এক্সটেনশন ব্যবহার করে অবাঞ্ছিত বিজ্ঞাপন অপসারণ করা। আরও সুন্দরভাবে, ফায়ারফক্স কাস্টম ব্যবহারকারী থিমগুলোকেও সমর্থন করেছিল। এটি ব্যবহারকারীদের ব্রাউজারের চেহারা এবং রঙের স্কিম পরিবর্তন করার সুযোগ দেয়। এটি আরও উপযুক্ত ব্রাউজিং অভিজ্ঞতা তৈরি করে। নিরাপত্তা সমস্যার সমাধান দ্রুত খুঁজে পাওয়া যায় এবং উন্মুক্ত উৎসের প্রোগ্রামগুলো আরও সুরক্ষিত হওয়ার সাথে সাথে, ফায়ারফক্স তাৎক্ষণিকভাবে জনপ্রিয়তা অর্জন করে, বিশেষ করে তার প্রধান প্রতিযোগী ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার ৬-এর তুলনায়।
তবে ফায়ারফক্সের পরিষেবা হিসেবে একটি প্রধান সমস্যা হলো আপডেট এবং এর মধ্যে থাকা বিষয়বস্তুর ক্ষেত্রে এর নির্ভরযোগ্যতা। ফায়ারফক্সের অনেক আপডেটই ছোটখাটো প্রকৃতির এবং সম্প্রদায়-ভিত্তিক হওয়ায়, গ্রাহকদের আগ্রহের জন্য খুব কমই নতুন, বৃহৎ পরিসরের বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এর ফলে ফায়ারফক্স ব্যবহারকারীদের একটি নিবেদিতপ্রাণ সম্প্রদায় তৈরি হয়। কিন্তু নতুন ব্যবহারকারীর সংখ্যা কম হয়। যদিও ফায়ারফক্সের স্থিতিশীলতা ধারাবাহিকভাবে ভালো রয়ে গেছে, ছোটখাটো সম্প্রদায়-চালিত বাগ সংশোধনের বাইরে প্রভাবশালী উন্নতির অভাবের ফলে এর ব্যবহারের পরিসংখ্যান কিছুটা স্থবির হয়ে পড়েছে। <ref>http://www.digitaltrends.com/computing/internet-explorer-chrome-and-firefox-market-share-for-october/</ref>
==== গুগল ক্রোমের উত্থান ====
২০০৮ সালে গুগল তাদের নিজস্ব ওয়েব ব্রাউজার, গুগল ক্রোম দিয়ে ব্রাউজার যুদ্ধে প্রবেশ করে। মুক্তি পাওয়ার পর থেকে, ক্রোমের জনপ্রিয়তা কেবল বৃদ্ধি পেয়েছে, বর্তমানে এটি বাজারে আধিপত্য বিস্তার করেছে এবং ফেব্রুয়ারি ২০১৬ পর্যন্ত মোট ব্যবহারের ৪৭.৭৭% ব্যবহার রয়েছে। গুগল ক্রোম একটি ফ্রিওয়্যার, যার অর্থ এর কিছু উপাদান রয়েছে যা প্রকৃতিগতভাবে মালিকানাধীন, তবে এর বেশিরভাগ কোডই ওপেন সোর্স। এর জনপ্রিয়তার পেছনে অনেক বৈশিষ্ট্য রয়েছে, এর সহজলভ্য, ন্যূনতম ইন্টারফেস এবং গতি মাত্র কয়েকটি।
উন্মুক্ত উৎসের হওয়ায় ফায়ারফক্সের মতোই ক্রোম উপকৃত হয়েছে, ঘন ঘন আপডেট, থিম এবং ব্রাউজার এক্সটেনশনের মতো বৈশিষ্ট্যগুলো ক্রোম ব্যবহারকারীদের জন্য উপলব্ধ। যদিও ফায়ারফক্সের উন্মুক্ত উৎসের প্রকৃতি এটিকে প্রাথমিকভাবে জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি করেছিল, একই রকম বৈশিষ্ট্য এবং সুপরিচিত আইটি কোম্পানি গুগলের সাথে সংযোগ ক্রোমকে তার আধিপত্য প্রতিষ্ঠার জন্য প্রয়োজনীয় রিলিজের সময় তা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করেছিল। [[ক্রোমিয়াম (ওয়েব ব্রাউজার)|ক্রোমিয়াম]] ক্রোমের সোর্স কোডে সহজে প্রাপ্যতাের সুযোগ করে দেওয়ার ফলে, ইচ্ছুকদের আউটসোর্সিং করে ক্রোমের জন্য লিনাক্স এবং ম্যাক ওএস এক্স পোর্টের কিছু ডেভেলপমেন্ট কাজ সহজ করা হয়েছে। <ref>http://arstechnica.com/information-technology/2008/09/google-unveils-chrome-source-code-and-linux-port/</ref> এর ফলে গুগলকে ইউজার ইন্টারফেস উন্নত করার এবং ব্রাউজারের আরও ভালো বিজ্ঞাপন দেওয়ার মতো বৈশিষ্ট্যগুলোতে মনোনিবেশ করার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছিল, এই সুযোগটি কাজে লাগিয়ে যে সার্চ ইঞ্জিন গুগল তাদের ব্রাউজার প্রচারের জন্য একটি সাধারণভাবে ব্যবহৃত পরিষেবা ছিল। তাদের কোডের ওপেন সোর্সিংয়ের মাধ্যমে ঘন ঘন আপডেটের সুযোগ দেওয়া হয় এবং নির্ভরযোগ্য এবং দ্রুত পরিষেবা পাওয়া যায়, তাই গুগল ক্রোম কেন জনপ্রিয়তার দিক থেকে এগিয়ে চলেছে তা স্পষ্ট।
'''http://www.telegraph.co.uk/technology/news/9163335/Whats-behind-the-rise-of-Google-Chrome.html'''
== উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যার কী? ==
উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যার (OSS) হলো গ্নু এবং Linux এর মতো প্রোগ্রাম যা প্রোগ্রামারদের নির্দিষ্ট সফটওয়্যার সম্পাদনা এবং উন্নত করার জন্য সোর্স কোড পরিবর্তন করতে দেয়। মুইর তার উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যার বইয়ে OSS কে "প্রকৃত সোর্স কোডে প্রাপ্যতা" হিসেবে সংজ্ঞায়িত করেছেন। এটি প্রায়ই গ্নু পাবলিক লাইসেন্সের অধীনে পাওয়া যায়। এটি প্রোগ্রামারদের সফটওয়্যার পরিবর্তন করতে এবং এটি পুনরায় বিতরণ করতে দেয়, এই প্রয়োজনে যে তারা এই পরিবর্তনগুলো অন্যান্য ডেভেলপারদের কাছে উপলব্ধ করে।" <ref>Muir, Scott P, and Leggott, Mark, eds. Open Source Software. Bradford, GBR: Emerald Group Publishing Ltd, 2005. ProQuest ebrary. Web. 5 March 2016</ref> এটিকে বিনামূল্যের সফটওয়্যার হিসাবেও পরিচিত করা যেতে পারে তবে আমি এই বাক্যাংশটি থেকে দূরে থাকব কারণ এটি 'মুক্ত বাকস্বাধীনতা'র পরিবর্তে 'মুক্ত জিনিস' ধারণার মতো বিনামূল্যের কথা উল্লেখ করে।
=== ওএসএসের ইতিহাস ===
ধারণা করা হয় যে UNIVAC ('ইউনিভার্সাল অটোমেটিক কম্পিউটার'-এর সংক্ষিপ্ত রূপ) প্রথম উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যার, 'A-2 সিস্টেম' তৈরি করেছিল। এটি ১৯৫৩ সালে তৈরি করা হয়েছিল এবং সেই বছরের শেষ নাগাদ বিতরণ করা হয়েছিল। পণ্যটিতে সোর্স কোডও অন্তর্ভুক্ত ছিল যা ব্যবহারকারীদের প্রদান করা হয়েছিল যাতে তারা (যদি তারা ইচ্ছা করে) পণ্যের উন্নত সংস্করণগুলো UNIVAC-তে ফেরত পাঠাতে পারে <ref>Peter Cohan. (2009). Back to the 1970s: IBM in mainframe antitrust suit again. Retrieved march/3rd, 2016, from http://www.dailyfinance.com/2009/10/09/back-to-the-1970s-ibm-in-mainframe-antitrust-suit-again/</ref> ১৯৬০-এর দশকের আগের যুগে এটা বলা নিরাপদ ছিল যে বেশিরভাগ প্রোগ্রাম বিনামূল্যে ছিল। তবে এগুলো বিনামূল্যে ছিল না কারণ সফটওয়্যার ডেভেলপাররা গ্রাহকদের বাগ ঠিক করতে এবং পণ্যের উন্নতি ফেরত পাঠাতে সাহায্য করার ধারণাটি পছন্দ করেছিলেন যাতে পণ্যটি আরও ভালোভাবে তৈরি করা যায় (যদিও ইউনিভ্যাকের A-2 সিস্টেমটি এর দ্বারা চালিত হয়েছিল) কিন্তু কারণ সেই সময়ে প্রযুক্তি ছিল ভীতিকর এবং খুবই ভয়ঙ্কর। এর আংশিক কারণ ছিল সেই সময়ে সায়েন্স ফিকশন সিনেমার প্রযোজনাগুলোকে ভৌতিক হিসেবে দেখা হত। মানুষের মনে একটা বিরাট ভয় ছিল,যদি কোম্পানিগুলো তাদের কাজের ব্যাপারে স্বচ্ছ না হয়, তাহলে মানুষ পেছনের দরজা দিয়ে বেরিয়ে যাবে, ফলে হ্যাক করা সহজ হবে।
সময়ের সাথে সাথে প্রযুক্তি অনেক উন্নত হতে শুরু করে, এর ফলে প্রতিযোগীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পায় এবং দামও বৃদ্ধি পায়। তবে প্রতিযোগীদের সংখ্যা বৃদ্ধির অর্থ হলো নোংরা কৌশলের প্রবর্তন। এই বাজারটি একসময় একটি অলিগোপলি ছিল এবং আইবিএমের মতো কোম্পানিগুলো এটিকে এভাবেই রাখতে চাইত। ১৯৬৯ সালে কম্পিউটার বাজারের এই বৃহৎ খেলোয়াড়টির বিরুদ্ধে প্রতিযোগিতামূলক মূল্য নির্ধারণের জন্য একটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। <ref>Hopper, Grace. "Keynote Address". Proceedings of the ACM SIGPLAN History of Programming Languages (HOPL) conference</ref>
=== ওএসএস-এর সমালোচনা ===
সময়ের সাথে সাথে OSS মালিকানাধীন সফটওয়্যারের চেয়ে বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এর মূল কারণ হলো এটি বিনামূল্যে, যেখানে মালিকানাধীন সফটওয়্যারের জন্য মানুষকে অর্থ প্রদান করতে হয়। তবে এটি একটি অলাভজনক সম্প্রদায় দ্বারা তৈরি হওয়ায় এর বেশ কিছু অসুবিধা রয়েছে। মালিকানাধীন সফটওয়্যারের তুলনায় OSS ব্যবহারের অনেক সুবিধা রয়েছে। ব্যবসার জন্য প্রধান সুবিধা হলো উন্মুক্ত উৎসের হলো বাজারে প্রবেশের ক্ষেত্রে ব্যবসার জন্য আরও বেশি সাফল্য অর্জনের একটি ভালো উপায়। যখন কোনও কোম্পানি OSS ব্যবহারের পরিকল্পনা করে, তখন তারা এমন পণ্য প্রতিষ্ঠা করতে পারে যা নির্ভরযোগ্য, উচ্চমানের এবং শিল্পের মানদণ্ডের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ, যার অর্থ তারা প্রতিদ্বন্দ্বী কোম্পানিগুলোর উপর এগিয়ে থাকতে পারে। এটিকে আরও নির্ভরযোগ্য বলে মনে করা হয় কারণ এতে অনেক স্বাধীন প্রোগ্রামার (যেমন লিনাক্স) সহযোগিতা করতে পারে এবং সাধারণ প্রকাশের আগে এর বাগ এবং সমস্যাগুলো খুঁজে বের করতে পারে। রেনল্ডস, <ref>Carl; Jeremy Wyatt (February 2011). "Open Source, Open Standards, and Health Care Information Systems". JMIR 13. doi:10.2196/jmir.1521</ref> OSS এর আরেকটি সুবিধা এবং অনেক নতুন প্রযুক্তি সংস্থা এটি ব্যবহারের অন্যতম কারণ হলো এটি সস্তা এবং ব্যবহার করা সহজ। মালিকানাধীন সফটওয়্যারের বিপরীতে যেখানে ব্যয়বহুল গবেষণা এবং উন্নয়ন করতে হয়।
OSS ব্যবহারের ফলে একটি কোম্পানি তাদের ব্যবহৃত প্রযুক্তির সাথে আরও নমনীয় হতে পারে। এর ফলে একটি ব্যবসা বাজারে দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানাতে পারে এবং দ্রুত উদ্ভাবন অর্জন করতে পারে। এটি একটি ক্রমাগত অগ্রগতিশীল প্রযুক্তিগত বিশ্বে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। OSS কৌশল ব্যবহারের মাধ্যমে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান অ্যাপল এবং মাইক্রোসফটের মতো বৃহৎ কোম্পানির বিরুদ্ধে সুযোগ পায় কারণ এটি সস্তা। <ref>Sharma, Srinarayan; Vijayan Sugumaran; Balaji Rajagopalan (2002). "A framework for creating hybrid-open source software communities"</ref> OSS-এর আরেকটি সুবিধা হলো, সফটওয়্যারের ডেভেলপাররা তাদের নিজস্ব সফটওয়্যারের মতো ক্ষমতায়িত বোধ করবে, যার অর্থ তারা আরও ভালোভাবে তৈরি পণ্য তৈরি করবে কারণ একজন কর্মী তাদের নিজস্ব তৈরিতে কাজ করার জন্য আরও বেশি অনুপ্রাণিত বোধ করবে। এই মালিকানার বোধের কারণে পণ্য এবং কোম্পানির প্রতি আনুগত্য তৈরি হয়। OSS ব্যবহারকারীদের যদি দক্ষ এবং কম্পিউটারে দক্ষ হন, তাহলে বিরক্তিকর বাগ ঠিক করার জন্য পরবর্তী প্যাচের জন্য অপেক্ষা করতে হবে না।
সামগ্রিকভাবে, OSS ব্যবহার আপনার ব্র্যান্ড এবং এর অর্থ কী তা সংজ্ঞায়িত করতে সাহায্য করে। OSS কে ব্র্যান্ডগুলোর জন্য একটি ইতিবাচক ভাবমূর্তি হিসেবে দেখা হয় কারণ এটি ভেন্ডর লক-ইন (যা মালিকানাধীন লক-ইন নামেও পরিচিত) বা প্যাচের জন্য চার্জিংয়ের ধারণার বিরুদ্ধে দাঁড়ায়। যেসব কোম্পানি OSS ব্যবহার করে তারা সাধারণত ব্যবসায়িক পরিভাষা 'কাইজেন' (ক্রমাগত উন্নতি) তে বিশ্বাস করে, যার অর্থ তারা সর্বদা তাদের মূল্যবান গ্রাহকের কাছে আরও ভালো পণ্য সরবরাহ করতে চায়। এটি এই ধারণার প্রতিনিধিত্ব করে যে প্রযুক্তি মুক্ত হওয়া উচিত। আমাদের সবসময় প্রিমিয়াম মূল্য পরিশোধ করতে হবে না।
বেশিরভাগ জিনিসের মতো অনেক দুর্দান্ত সুবিধার সাথে সাথে কিছু অসুবিধাও থাকতে হবে এবং OSSও এর থেকে আলাদা নয়। গ্রাহকদের চাহিদা শোনার জন্য ডেভেলপারদের উপর বাণিজ্যিক চাপের অভাব রয়েছে। এর অর্থ হলো তারা এমন সফটওয়্যার তৈরি করবে যা গ্রাহকদের চেয়ে তাদের চাহিদা অনুসারে তৈরি করা হবে। পণ্যের গুণমান এতে কাজ করা প্রোগ্রামারদের ধরণের দ্বারাও প্রভাবিত হতে পারে। কারণ OSS-এর সাফল্য অনেকটাই দলীয় কাজের উপর নির্ভর করে। সফটওয়্যারটিতে কাজ করা কিছু প্রোগ্রামারের বিভিন্ন লক্ষ্য থাকতে পারে, সফটওয়্যার সম্পর্কে ধারণা থাকতে পারে যা একে অপরের সাথে সাংঘর্ষিক হতে পারে। ইজেল এবং সোর্সএক্সচেঞ্জের মতো বেশ কয়েকটি ওএসএস প্রকল্পে এটি ঘটেছে। <ref>Sharma, Srinarayan; Vijayan Sugumaran; Balaji Rajagopalan (2002). "A framework for creating hybrid-open source software communities"</ref> বড় কোম্পানিগুলো উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যার ব্যবহার না করার একটি প্রধান কারণ হলো নিরাপত্তা ঝুঁকি। সোর্স কোড দেখানো হলে নিরাপত্তার দুর্বলতা দেখা যাবে যা ত্রুটি খুঁজে বের করা সহজ করে তুলতে পারে। বৃহৎ পরিসরে OSS প্রকল্পের ক্ষেত্রে এটি তেমন একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়, তবে একক ব্যক্তির প্রকল্পের ক্ষেত্রে বড় ধরনের নিরাপত্তা ঝুঁকি থাকতে পারে।
উন্মুক্ত উৎসের ব্যবহারের ফলে একই ধরণের জিনিসের ক্লোন তৈরি হয়। এর একটি ভালো উদাহরণ হলো মোবাইল গেম ফ্ল্যাপি বার্ড। যখন এটি সফল হয়, তখন আমরা অ্যান্ড্রয়েডে অনেক অনুরূপ কপি দেখতে পাই। যেখানে ক্লোজড সোর্স সফটওয়্যারের তাদের সফটওয়্যারে কী লাগানো হবে তার উপর বেশি নিয়ন্ত্রণ থাকে <ref>Joab Jackson. Open source vs. proprietary software. Retrieved March/4th, 2016, from http://www.pcworld.com/article/243136/open_source_vs_proprietary_software.html</ref> এর ফলে অনেক OSS প্রকল্প ক্লোন করা হয়। এর ফলে গ্রাহক নিম্নমানের সফটওয়্যারের চাপে পড়ে যান এবং ভালো সফটওয়্যার থেকে বঞ্চিত হন।
ডেভেলপাররা এতে যোগ এবং পরিবর্তন করার সাথে সাথে OSS বাস্তব সময়ে বিকশিত হতে থাকে, যার অর্থ এটি আরও উন্নত মানের হতে পারে। OSS এর সাথে সম্পর্কিত একটি সাধারণ ভুল ধারণা হলো যে এটি মালিকানাধীন সিস্টেমের তুলনায় বেশি নিরাপদ এবং ভাইরাসের ঝুঁকি কম কারণ এর বিপুল সংখ্যক ব্যবহারকারী রয়েছে যারা যেকোনো সমস্যা সমাধানের জন্য সেখানে উপস্থিত থাকে। যদিও এটি সত্য হতে পারে, তবে এটি অগত্যা এটিকে সহজাতভাবে নিরাপদ করে তোলে না। লোকেরা কোডটি দেখে। এর ফলে নিরাপত্তার দুর্বলতাগুলো সহজেই ধরা পড়ে। OSS নিরাপত্তার উপর একটি তদন্তে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে যে OSS কোডকে দৃশ্যমান করে তোলে, তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই, উৎস দৃশ্যমানতা একটি নির্দিষ্ট প্রকল্পের জন্য সৃষ্ট সামগ্রিক নিরাপত্তা ঝুঁকি বাড়াতে খুব কমই সাহায্য করে। নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা জানিয়েছেন,বেশিরভাগ পরিস্থিতিতে, উৎসের দৃশ্যমানতা প্রকল্পের স্থিতিশীলতা এবং নিরাপদ অবস্থার সম্মতিতেও সহায়তা করতে পারে।
<u>সফটওয়্যার</u> সবকিছুই একটি একক অপারেটিং সিস্টেম ইউনিক্স থেকে আসে, মূলত এটি IOS10 সহ ম্যাকের IOS সিস্টেমের ভিত্তি স্থাপন করে। এটি মূলত কোড লেখার পরিবর্তে একটি আগে থেকে তৈরি অপারেটিং সিস্টেম। যদিও এটি প্রায় প্রতিটি অপারেটিং সিস্টেমের ভিত্তি তৈরি করে, এটি খুবই 'বন্ধ'। কিন্তু এটি এই তত্ত্বের পরিপন্থী যে সবাই চায় সবকিছু উন্মুক্ত থাকুক এবং ভাগ করে নেওয়া হোক যাতে আপনি আপনার চাহিদা অনুযায়ী সফটওয়্যারটি সম্পাদনা এবং তৈরি করতে পারেন।
সহজ কথা হলো, সকলেই তাদের চাহিদা অনুযায়ী সফটওয়্যার সম্পাদনা এবং পরিচালনা করতে চায় না। এটা তাদের জন্য খুব জটিল হতে পারে অথবা তারা হয়তো আগ্রহী নাও হতে পারে। কিছু ব্যক্তি কেবল একটি সাধারণ কাজের জন্য কম্পিউটার ব্যবহার করতে চান এবং লগ ইন এবং CLU ব্যবহারের ঝামেলা মোকাবেলা করতে চান না। এই ক্ষেত্রে একটি GUI, গ্রাফিক্যাল ইউজার ইন্টারফেসই যথেষ্ট। এটি দ্রুত, সহজ এবং ব্যবহার করা সহজ। ব্যবহারকারী কী চায় তা আপনাকে বিবেচনা করতে হবে। তারা কি অফুরন্ত কোডিং চায় নাকি মেকানিক্স চায়, তবে কি এটা উন্মুক্ত নাকি বাণিজ্যিকীকরণ করা হবে?
== মালিকানাধীন সফটওয়্যার ==
=== ভূমিকা ===
মালিকানাধীন সফটওয়্যার হলো এমন সফটওয়্যার যা আইনত সম্পূর্ণরূপে এর স্রষ্টা বা স্রষ্টাদের মালিকানাধীন। সাধারণত, মালিকানাধীন সফটওয়্যারের সোর্স কোড দেখার ক্ষমতা এবং এর পরিবর্তনের উপর খুব কঠোর বিধিনিষেধ থাকে। এই সীমাবদ্ধতার কারণে, ব্যবহারকারীর প্রয়োজন অনুসারে প্রোগ্রামটি পরিবর্তন বা সংশোধন করার ক্ষমতা সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ। এই ধরণের সফটওয়্যার (যদিও কখনও কখনও বিনামূল্যে) সাধারণত শুধুমাত্র একটি ফি দিয়ে পাওয়া যায় এবং শুধুমাত্র লাইসেন্সপ্রাপ্ত কী হোল্ডাররা এর উদ্দেশ্যে সফটওয়্যারটি ব্যবহার করতে পারেন।
মালিকানাধীন সফটওয়্যার লাইসেন্স এবং লাইসেন্স চুক্তির মাধ্যমে ব্যবহৃত হয়। ডগলাস ই ফিলিপস তার "সফটওয়্যার লাইসেন্স উন্মোচিত" বইতে রূপরেখা দিয়েছেন : লাইসেন্স আইন কীভাবে সফটওয়্যার প্রাপ্যতা নিয়ন্ত্রণ করে", <ref>Phillips, DE 2009, Software License Unveiled : How Legislation by License Controls Software Access, Oxford University Press, USA, Cary, NC, USA. Available from: ProQuest ebrary. [6 March 2016].</ref> সমস্ত ব্যবহারকারী লাইসেন্স চুক্তি অনুসরণ করে এমন নির্দিষ্ট নির্দেশিকা।
এর মধ্যে রয়েছে:- "আপনি হয়তো ভেবেছেন যে আপনি কিছু কিনেছেন। কিন্তু আপনি তা করেননি। সফটওয়্যারটি লাইসেন্সপ্রাপ্ত, বিক্রি করা হয়নি।"
"আপনি এখন একটি সফটওয়্যার কোম্পানির সাথে একটি চুক্তির পক্ষ। লাইসেন্সটি আপনার এবং সফটওয়্যার প্রদানকারীর মধ্যে একটি আইনত বাধ্যতামূলক চুক্তি।"
"যদি এটি না বলে যে আপনি এটি করতে পারবেন, তাহলে আপনি পারবেন না। সফটওয়্যার প্রদানকারী আপনাকে সফটওয়্যারটি ব্যবহারের সুযোগ দেয়। কিন্তু আপনি এমন কিছু করতে পারবেন না যা লাইসেন্স স্পষ্টভাবে সুযোগ দেয় না। অবশ্যই, আপনাকে এমন কিছু করা থেকেও বিরত থাকতে হবে যা এটি স্পষ্টভাবে নিষিদ্ধ করে। উদাহরণস্বরূপ, আপনি একবারে একাধিক ব্যক্তিকে সফটওয়্যারটি ব্যবহার করতে দিতে পারবেন না; এটি পুনরায় বিক্রয় বা বিপরীত প্রকৌশলী করতে পারবেন; অথবা, যদি সফটওয়্যারটি একটি নির্দিষ্ট ধরণের শেষ ব্যবহারকারীর জন্য মনোনীত করা হয়, তাহলে সেই ধরণের শেষ ব্যবহারকারী না হয়ে এটি ব্যবহার করুন।"
"যদি আপনি এমন কিছু করেন যা এটি বলে না যে আপনি করতে পারবেন (অথবা বলে যে আপনি করতে পারবেন না), তাহলে আপনি সফটওয়্যারটি একেবারেই ব্যবহার করতে পারবেন না। সফটওয়্যারটি ব্যবহারের জন্য আপনার অনুমতি লাইসেন্স চুক্তির সমস্ত শর্তাবলী মেনে চলার উপর নির্ভরশীল, যার মধ্যে আপনার ব্যবহারকে সীমাবদ্ধ করে এমন সমস্ত শর্তাবলীও অন্তর্ভুক্ত। ফলস্বরূপ, যেকোনো শর্ত লঙ্ঘনের ফলে আপনার সমস্ত লাইসেন্স অধিকার নষ্ট হতে পারে এবং আপনি কেবল চুক্তি ভঙ্গকারীই নন, বরং কপিরাইট লঙ্ঘনকারীও হয়ে ওঠেন।"
"যদি সফটওয়্যার কোম্পানি কিছু করতে চায়, তাহলে তা করতে পারে। আপনি সফটওয়্যার প্রদানকারীকে সফটওয়্যারে পণ্য সক্রিয়করণ, পণ্য যাচাইকরণ এবং স্বয়ংক্রিয় আপডেট ফাংশন অন্তর্ভুক্ত করার জন্য নিঃশর্ত অনুমতি দেন। এই ফাংশনগুলো সফটওয়্যারে আপনার প্রাপ্যতাকে প্রভাবিত করতে পারে, এবং সম্ভাব্যভাবে আপনার কম্পিউটারে, এবং সফটওয়্যার এবং আপনার কম্পিউটার সম্পর্কে তথ্য সফটওয়্যার প্রদানকারীর কাছে প্রেরণ করতে পারে।"
"যদি সফটওয়্যারে কিছু ভুল হয়ে যায়, তাহলে তা ঠিক করার জন্য সফটওয়্যার কোম্পানির উপর নির্ভর করবেন না। আপনি সম্মত হন যে সফটওয়্যার সরবরাহকারী আপনাকে খুব কম বা কোনও ওয়ারেন্টি দেয় না এবং সফটওয়্যার ত্রুটির জন্য আপনার কাছে খুব কম বা কোনও দায়বদ্ধতা থাকবে না। আপনি আরও সম্মত হন যে সফটওয়্যার তৃতীয় পক্ষের অধিকার লঙ্ঘন করলে আপনার বিরুদ্ধে যে দাবি হতে পারে তার জন্য সফটওয়্যার সরবরাহকারী দায়ী থাকবে না।" (ফিলিপস, ২০০৯)
মুক্ত সফটওয়্যার আন্দোলন ১৯৮৩ সালে শুরু হয়েছিল। এর প্রবর্তনের পর একদল ব্যক্তি "মুক্ত সফটওয়্যার" শব্দটিকে উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যার (OSS) দ্বারা প্রতিস্থাপন করার পক্ষে মত প্রকাশ করেন। এটি কর্পোরেট জগতের ক্ষেত্রে আরও সুবিধাজনক। সফটওয়্যার ডেভেলপাররা তাদের সফটওয়্যারটি একটি উন্মুক্ত উৎসের লাইসেন্স কাঠামোর মধ্যে প্রকাশ করতে চাইতে পারেন যাতে যে কেউ একই সফটওয়্যারটি তৈরি করতে পারে অথবা এর অভ্যন্তরীণ কার্যকারিতা সম্পর্কে আরও ভালভাবে বুঝতে পারে। উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যারের সাহায্যে, যে কেউ এতে পরিবর্তন আনতে, নতুন অপারেটিং সিস্টেম এবং প্রসেসর আর্কিটেকচারে পোর্ট করতে সক্ষম। এটি এটিকে অন্যদের সাথে ভাগ করে নেওয়ার বা কিছু ক্ষেত্রে বাজারজাত করার সুযোগ দেয়।
=== উদাহরণ ===
প্রোপ্রাইটি সফটওয়্যারের সবচেয়ে বেশি ব্যবহারকারীদের মধ্যে একটি হলো [https://www.microsoft.com/en-gb মাইক্রোসফট কর্পোরেশন] । [[উইন্ডোজ এক্সপি]] এবং [[উইন্ডোজ ৮|উইন্ডোজ ৮ এর]] মতো অপারেটিং সিস্টেম থেকে শুরু করে বিশ্বব্যাপী প্রভাবশালী [[মাইক্রোসফট অফিস]] প্রোগ্রাম পর্যন্ত প্রতিটি সফটওয়্যারই সুরক্ষার যথাযথ ব্যবস্থা ব্যবহার করে। মালিকানাধীন প্রোগ্রামগুলোর আরও উদাহরণগুলোর মধ্যে রয়েছে; [http://www.adobe.com/ অ্যাডোবি ফ্ল্যাশ প্লেয়ার], [[আইটিউন্স|আইটিউনস]] এবং [[ম্যাকওএস|ম্যাক ওএস এক্স]] ।
=== সুবিধা ===
মালিকানাধীন সফটওয়্যার ব্যবহারের সুবিধা এবং অসুবিধা উভয়ই রয়েছে। উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যার সিস্টেমের পরিবর্তে মালিকানাধীন সফটওয়্যার সিস্টেম ব্যবহারের সুবিধা হলো যে পণ্যটি ব্যবহার করার সময় আপনার যে কোনও সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে তার জন্য অনেক বেশি নিবেদিতপ্রাণ সহায়তা রয়েছে। যেহেতু মালিকানাধীন সফটওয়্যারটি কোনও কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান দ্বারা তৈরি করা হয় এবং পণ্য হিসেবে বিক্রি করা হয়, তাই কোনও সমস্যা হলে বা সিস্টেম ইনস্টল/সেট আপ করার ক্ষেত্রে যদি তাদের সাহায্যের প্রয়োজন হয়, তাহলে গ্রাহকদের জন্য সর্বদা সহায়তা পাওয়া নিশ্চিত করা কোম্পানির স্বার্থে। এটি উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যার থেকে আলাদা, যেখানে একটি কমিউনিটি সাপোর্ট সিস্টেম বেশি থাকে যেখানে সঠিক সমাধান খুঁজে না পাওয়া পর্যন্ত আপনাকে বিভিন্ন সমাধান অনুসন্ধান করতে হতে পারে। মালিকানাধীন সফটওয়্যার সাধারণত ব্যবসায়িক জগতের চাহিদা পূরণের জন্য এবং বাজারের চাহিদা পূরণের জন্য তৈরি করা হয়। এই কারণে, মালিকানাধীন সফটওয়্যারে প্রায়ই উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যারের তুলনায় বেশি বৈশিষ্ট্য থাকে, উদাহরণস্বরূপ, ওয়ার্ড এবং এক্সেল সহ সমস্ত [[মাইক্রোসফট অফিস]] অ্যাপ্লিকেশনগুলোকে একই সাথে একই কাজে কাজ করার জন্য একসাথে লিঙ্ক করা যেতে পারে।
=== সমালোচনা ===
মালিকানাধীন সফটওয়্যারের একটি প্রধান সমালোচনা হলো যে এই ধরণের সফটওয়্যারের বেশিরভাগই কেবল ক্রয়ের মাধ্যমে পাওয়া যায়। এই ধরণের সফটওয়্যারের দামের পরিসর সস্তা থেকে শুরু করে খুব ব্যয়বহুল পর্যন্ত হতে পারে, উদাহরণস্বরূপ, [[উইন্ডোজ ১০|Windows ১০]] £২৯.৯৯ পর্যন্ত সস্তা হতে পারে। এটি [[অ্যাডোবি ফটোশপ|Adobe Photoshop]] এর মতো অন্যান্য প্রোগ্রামের দাম £২০০০ এ কেনা যাবে। দামের এই পরিসরটি সাধারণ ব্যবহারকারীর জন্য খুবই বিরক্তিকর হতে পারে কারণ একটি কম্পিউটার প্রোগ্রামের জন্য হাজার হাজার পাউন্ড খরচ করা খুবই অযৌক্তিক বলে মনে হয়। মালিকানাধীন সফটওয়্যারের আরও একটি সমালোচনা হলো এর সোর্স কোড দেখতে এবং প্রোগ্রামের কোডিং পরিবর্তন করতে না পারা। ব্যবসায়িক জগতে বিদ্যমান চাহিদা এবং প্রয়োজনীয়তা ক্রমাগত পরিবর্তিত হচ্ছে। এই ক্রমাগত পরিবর্তনশীল পরিবেশের সাথে, মালিকানাধীন সফটওয়্যার প্রায়ই তাদের গ্রাহকদের চাহিদার সাথে তাল মিলিয়ে চলতে পিছিয়ে পড়তে পারে। এটি উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যারের বাজার উন্মুক্ত করে দেয় কারণ ব্যবহারকারীরা চাইলে তাদের উদ্দেশ্য অনুসারে সফটওয়্যারের কার্যকারিতা পরিবর্তন করতে পারেন। মালিকানাধীন সফটওয়্যারে কাস্টমাইজেশন এবং স্ব-উন্নতির অভাবের কারণেই অনেক মানুষ উন্মুক্ত উৎসের সিস্টেম ব্যবহার করতে পছন্দ করে।
=== ওপেন সফটওয়্যার বনাম মালিকানাধীন সফটওয়্যার ===
ওপেন সফটওয়্যার মূলত এমন একটি সফটওয়্যার যা সকলের জন্য বিনামূল্যে এবং প্রাপ্যতাযোগ্য। এটি তাদের চাহিদা পূরণের জন্য প্রোগ্রামটি পরিবর্তন করতে দেয়। এটি অনেক কম্পিউটিং ভক্তদের বিশ্বাস করা অনেক মূল থিম এবং ধারণার একটি অনুসরণ করে। তবে একটি খুব বড় নিরাপত্তা ঝুঁকি রয়েছে এবং ওপেন সফটওয়্যার ব্যবহার করার সময় অনেক লাইসেন্সিং আইন বিবেচনায় নিতে হয়। অন্যদিকে মালিকানাধীন সফটওয়্যার আছে যা অর্থায়ন করা হয় এবং আপনাকে এর জন্য অর্থ প্রদান করতে হবে। এর একটি গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ হলো উইন্ডোজ এক্সপি। প্রায়শই মালিকানাধীন সফটওয়্যার হ্যাকারদের তাদের সিস্টেমে থাকা যেকোনো ত্রুটি বা বাগ কাজে লাগাতে বলে। কিন্তু যখন সমস্যাটি শনাক্ত করা হয়, তখন প্রায়ই তারা এই সমস্যা সমাধানের জন্য কিছু করে না। কারণ এতে অন্যান্য পক্ষের আগ্রহ থাকে। ওপেন সফটওয়্যার খুবই উপকারী কারণ এটি একাধিক ব্যক্তিকে একই জিনিসে একসাথে কাজ করার সুযোগ দেয়, যেমন এই প্রকল্পটি। এটি খুবই কার্যকর, ব্যক্তিদের অন্যদের কাজ পর্যালোচনা করার সুযোগ করে দেওয়ার ফলে আরও সমস্যা চিহ্নিত এবং সমাধান করা হবে। ব্যবহারে খুবই উপকারী, ওপেন সফটওয়্যার আপনাকে একসাথে একাধিক ব্যবহারকারী রাখার সুযোগ দেয়, তবে এটির অপব্যবহার না করা গুরুত্বপূর্ণ। কোনও বাগ-মুক্ত সফটওয়্যার নেই, এটি ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং আরও ভালোর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। প্রোপ্রাইটারি সফটওয়্যারে CLI-এর বিপরীতে GUI এবং ইন্টারঅ্যাকশন বেশি থাকে। এটি সাধারণত ওপেন সফটওয়্যারের সাথে সম্পর্কিত। একটি GUI (গ্রাফিক্যাল ইউজার ইন্টারফেস) মূলত ছবির একটি সিরিজ, একটি মেনু। এটি দ্রুত এবং সহজেই ঘুরে দেখা যায় এবং ব্যবহার করা যায়। এটি এমন ব্যবহারকারীদের জন্য খুবই উপকারী যারা কম্পিউটার শিক্ষিত নন এবং কেবল দ্রুত প্রযুক্তি ব্যবহার করতে চান।
== উন্মুক্ত উৎসের ও মালিকানাধীন সফটওয়্যারের ভবিষ্যৎ ==
উন্মুক্ত উৎসের পূর্ব-বিদ্যমান নকশা এবং ব্লুপ্রিন্টের পরিবর্তন এবং পুনর্বণ্টনকে সর্বজনীনভাবে অবাধে উপলব্ধ করার সুযোগ দেয়। প্রোগ্রামিংয়ের ক্ষেত্রে ওপেন সোর্সের ভবিষ্যৎ নিঃসন্দেহে অনেক প্রোগ্রামার এবং ব্যবসার দ্বারা ব্যবহৃত হতে থাকবে। [http://www.zdnet.com/ ZDNet] দ্বারা পরিচালিত একটি জরিপে দেখা গেছে, ৭৮% কোম্পানি তাদের অনুশীলনে উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যার ব্যবহারের সাথে খাপ খাইয়ে নিয়েছে। এটি একটি স্মরণীয় পদক্ষেপ কারণ ২০১০ সালে "ওপেন সোর্সের ভবিষ্যৎ" জরিপের প্রতিক্রিয়ায়, মাত্র ৪২% কোম্পানি বলেছিল যে তারা OSS ব্যবহার করে। ৯৩% বলেছেন যে গত বছর ধরে ওপেন সোর্সের ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়েছে অথবা স্থির রয়ে গেছে। বর্তমানে, ৬৪% কর্পোরেশন উন্মুক্ত উৎসের প্রকল্পে অংশগ্রহণ করে - যা ২০১৪ সালের তুলনায় ১৪% বেশি। উন্মুক্ত উৎসের প্রকল্পে কোম্পানিগুলোর সম্পৃক্ততার অদূর ভবিষ্যতের পূর্বাভাস ৮৮%-এ উন্নীত হবে বলে আশা করা হচ্ছে <ref>http://www.zdnet.com/article/its-an-open-source-world-78-percent-of-companies-run-open-source-software/</ref>
একজন প্রোগ্রামার হিসেবে উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যারের ভবিষ্যৎ ইতিমধ্যেই তাদের দৈনন্দিন জীবনের অংশ। একজন আধুনিক প্রোগ্রামার হিসেবে, আপনার বর্তমান প্রকল্পগুলোর বেশিরভাগই ইতিমধ্যেই অন্যান্য প্রোগ্রামাররা তাদের বিনামূল্যে উপলব্ধ কোড Github-এর মতো ওয়েবসাইটে রেখে সম্পন্ন করেছেন। এর ফলে ব্যবহারকারীরা এই উন্মুক্ত উৎসের প্রকল্পগুলো ডাউনলোড এবং শেয়ার করতে পারবেন। <ref>https://github.com/github</ref> আজকাল প্রোগ্রামাররা ইতিমধ্যেই করা কোড পুনরায় লিখতে চান না। অদূর ভবিষ্যতে, প্রোগ্রামাররা কেবল উন্মুক্ত উৎসের কোডের কিছু অংশ নেবে এবং সেই প্রকল্পটিকে আরও অনেকের সাথে একত্রিত করে একটি চূড়ান্ত প্রকল্প তৈরি করবে। এটি বিভিন্ন দক্ষতা স্তরের প্রোগ্রামারদের এই উন্মুক্ত উৎসের প্রকল্পগুলো বুঝতে এবং বাস্তবায়ন করতে সাহায্য করে, এছাড়াও প্রোগ্রামারদের একটি প্রকল্প সম্পূর্ণ করার জন্য সময় এবং অর্থ সাশ্রয় করে।
উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যারের ভবিষ্যৎ আমাদের সমাজের প্রযুক্তির অগ্রগতির উপর নাটকীয় প্রভাব ফেলবে। এর একটি উদাহরণ হতে পারে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি হেডসেট, ওকুলাস রিফট। এই হেডসেটের সম্পূর্ণ সোর্স কোড ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে জনসাধারণের জন্য প্রকাশ করা হয়েছিল। <ref>http://www.forbes.com/sites/jasonevangelho/2014/01/10/rumor-oculus-rift-will-launch-summer-2014-for-less-than-499/#fe6788046985</ref> এই হেডসেটটি সম্পূর্ণরূপে উন্মুক্ত উৎসের হওয়ার পর এই পণ্যটির অগ্রগতি অসাধারণ। ২০১৪ সালে ওকুলাস রিফটসের সোর্স কোড প্রকাশের পর এটি স্যামসাং গিয়ার ভার্চুয়াল রিয়েলিটি হেডসেটের মতো নতুন ভার্চুয়াল রিয়েলিটি হেডসেটগুলো বুঝতে এবং তৈরি করতে সহায়তা করেছে। <ref>http://www.samsung.com/uk/consumer/mobile-devices/wearables/gear/SM-R320NPWABTU</ref>
বিল গেটস ১৯৯৪ সালের পর জন্মগ্রহণকারী শিশুদের ইন্টারনেটের সাথে বেড়ে ওঠা প্রথম প্রজন্ম হিসেবে উল্লেখ করেছেন। ১০-১২ বছর বয়সী ৯০% শিশু অনলাইন গেম খেলে। <ref>https://hbr.org/2012/04/the-mobile-re-generation</ref> যেহেতু এই শিশুদের মধ্যে প্রযুক্তি তাদের জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ, তাই এখন অনেক স্কুলে প্রোগ্রামিং শেখানো হচ্ছে। শিশুদের প্রোগ্রামিং দক্ষতা বিকাশের জন্য এখন প্রোগ্রামিং ক্লাব প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। <ref>http://coderdojostirling.com/</ref> এর থেকে বোঝা যায়,প্রযুক্তির ব্যবহার বছরের পর বছর ধরে বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে ওপেন সোর্সের ব্যবহারও বৃদ্ধি পাবে। সকল বয়সের শিশুরা তাদের নিজস্ব আনন্দের জন্য প্রকল্পগুলো সম্পন্ন করার জন্য উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যার ব্যবহার করে। এখন স্কুলে শিশুরা প্রোগ্রামিং শিখছে, তাই অনলাইন ইন্টারেক্টিভ প্রোগ্রামিং ক্লাসগুলো ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। <ref>https://www.codecademy.com/learn</ref> বেশিরভাগ মানুষের কাছে ইন্টারনেট সহজলভ্য হওয়ার সাথে সাথে, এই ইন্টারেক্টিভ প্রোগ্রামিং ক্লাসের ব্যবহার ক্রমশ বৃদ্ধি পাবে। এর অর্থ হলো, যত বেশি মানুষ প্রোগ্রামিং শিখবে, ওপেন সোর্সের ব্যবহার তত বাড়বে।
'উন্মুক্ত উৎসের গ্রাহক এবং ব্যবসার মধ্যে স্বাধীনতা প্রদান করে', <ref>http://open-source.gbdirect.co.uk/migration/benefit.html#flexibilityfreedom</ref> কিছু মালিকানাধীন সফটওয়্যার নমনীয় বলে দাবি করে কিন্তু নমনীয়তা সৃজনশীলতাকে বোঝায় এবং উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যার ব্যবহারের মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা কোনও সীমা ছাড়াই তাদের নিজস্ব প্রয়োজনের জন্য নিজস্ব সফটওয়্যার তৈরি করতে পারে। উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যার ব্যবহারকারীদের নিয়ন্ত্রণে থাকতে, তাদের নিজস্ব সিদ্ধান্ত নিতে এবং তারা যা চায় তা করতে সাহায্য করে। <ref>http://www.pcworld.com/article/209891/10_reasons_open_source_is_good_for_business.html</ref> আজকাল মানুষ জানে তারা কী চায় এবং কীভাবে তারা কাজ করতে চায়, এবং প্রযুক্তি আমাদের জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে ওঠার সাথে সাথে উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যারের ব্যবহারও বৃদ্ধি পাবে।
মানুষ এমন ব্যক্তি যারা নিজের সিদ্ধান্ত নিতে এবং স্বাধীনভাবে কাজ করতে পছন্দ করে এবং উন্মুক্ত উৎসের এই ধারণাকে সম্পূর্ণরূপে সমর্থন করে। ওপেন সোর্সের ভবিষ্যৎ খুবই ইতিবাচক দেখাচ্ছে; বর্তমানে এটি ইতিমধ্যেই প্রযুক্তিগত জীবনযাত্রার একটি সমন্বিত অংশ। সাধারণত, আজকাল উৎপাদিত প্রতিটি সফটওয়্যারের উন্নয়নে উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যার ব্যবহার করা হয়। বছরের পর বছর ধরে প্রযুক্তিগত অগ্রগতি উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যার ব্যবহারের দ্বারা ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হয়েছে। কারণ প্রতিটি প্রোগ্রামারের হাতে বিশাল ডেভেলপার রয়েছে। এছাড়াও ১৯৯৪ সালের পরে জন্ম নেওয়া শিশুদের দৈনন্দিন জীবনে এখন প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু হয়েছে, তাদের ছোটবেলা থেকেই প্রোগ্রামিং শেখানো হচ্ছে এবং ব্যক্তিরা অনলাইনে ইন্টারেক্টিভ প্রোগ্রামিং ক্লাসেও অংশগ্রহণ করছে। প্রযুক্তির ক্রমাগত অগ্রগতি এবং ব্যবহারের সাথে সাথে এটি অনিবার্য যে সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্টের ক্ষেত্রে উন্মুক্ত উৎসের ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হবে কারণ এর অনেক সুবিধা রয়েছে। ভবিষ্যতেও উন্মুক্ত উৎসের ব্যবহার অব্যাহত থাকবে, তবে উন্মুক্ত উৎসের ইতিমধ্যেই প্রযুক্তিগত উন্নয়নের একটি সমন্বিত অংশ। '''ভবিষ্যৎ এখানেই।'''
== শব্দকোষ ==
== শব্দকোষ ==
সমস্ত শর্তাবলী ইন্টারনেট অফ এভরিথিংয়ের উপরের অধ্যায় থেকে নেওয়া হয়েছে। সমস্ত সংজ্ঞা উইকিপিডিয়া এবং অক্সফোর্ড অভিধান থেকে নেওয়া হয়েছে।
4Chan 4chan একটি ইংরেজি ভাষার ইমেজ বোর্ড ওয়েবসাইট। ব্যবহারকারীরা সাধারণত বেনামে পোস্ট করেন, সাম্প্রতিকতম পোস্টগুলি বাকিগুলির উপরে প্রদর্শিত হয়। 4chan তাদের নিজস্ব নির্দিষ্ট সামগ্রী এবং নির্দেশিকা সহ বিভিন্ন বোর্ডে বিভক্ত। রেজিস্ট্রেশনের প্রয়োজন হয় না, বা এটি সম্ভব নয় (স্টাফ ব্যতীত)।
অ্যান্ড্রয়েড একটি অপারেটিং সিস্টেমের নাম, প্রধানত ম্যাক নয় এমন ডিভাইসগুলিতে ব্যবহৃত হয়।
অনামী অ্যানোনিমাস অ্যাক্টিভিস্ট এবং হ্যাক্টিভিস্ট সত্তাগুলির একটি আলগাভাবে যুক্ত আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক। এই গোষ্ঠীর সাথে নামমাত্র যুক্ত একটি ওয়েবসাইট এটিকে "একটি ইন্টারনেট সমাবেশ" হিসাবে বর্ণনা করে "একটি খুব আলগা এবং বিকেন্দ্রীভূত কমান্ড কাঠামো যা নির্দেশের পরিবর্তে ধারণার উপর কাজ করে"
লেখক লেখার পেশা, লেখার উৎস (লেখক হিসাবে) লেখা, সঙ্গীত বা শিল্পের একটি অংশ।
ক্রিয়েটিভ কমন্স ক্রিয়েটিভ কমন্স একটি অলাভজনক সংস্থা যা বিনামূল্যে আইনি সরঞ্জামগুলির মাধ্যমে সৃজনশীলতা এবং জ্ঞান ভাগ করে নেওয়া এবং ব্যবহার সক্ষম করে।
জ্ঞানীয় লোড ওয়ার্কিং মেমরিতে ব্যবহৃত মানসিক প্রচেষ্টার পরিমাণ।
কাস্টমাইজেবিলিটি আপনাকে আপনার প্রয়োজন অনুসারে কিছু কাস্টমাইজ এবং সম্পাদনা করার অনুমতি দেওয়ার কাজ।
ডারউইন উন্মুক্ত উৎসের ইউনিক্স অপারেটিং সিস্টেম যা অ্যাপল দ্বারা নির্মিত এবং ২০০০ সালে মুক্তি পায়।
বিকেন্দ্রীকরণ একটি কেন্দ্রীয় অবস্থান বা কর্তৃপক্ষ থেকে দূরে ফাংশন, ক্ষমতা, মানুষ বা জিনিস পুনরায় বিতরণ বা ছড়িয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া।
ডিজিটাল রাইটস ম্যানেজমেন্ট (DRM) বিভিন্ন প্রাপ্যতা কন্ট্রোল প্রযুক্তি যা মালিকানাধীন হার্ডওয়্যার এবং কপিরাইটযুক্ত কাজগুলির ব্যবহার সীমাবদ্ধ করতে ব্যবহৃত হয়।
একটি নির্দিষ্ট শাসক বা সরকার দ্বারা মালিকানাধীন বা নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলের একটি এলাকা ডোমেন
গুটেনবার্গ ছাপাখানার স্রষ্টা।
হ্যাকার একজন ব্যক্তি যিনি ডেটাতে অননুমোদিত প্রাপ্যতা অর্জনের জন্য কম্পিউটার ব্যবহার করেন।
হ্যাক্টিভিজম হ্যাক্টিভিজম হ'ল রাজনৈতিক বা সামাজিকভাবে অনুপ্রাণিত উদ্দেশ্যে হ্যাকিং বা কম্পিউটার সিস্টেমে প্রবেশ করার কাজ। যে ব্যক্তি হ্যাক্টিভিজমের কাজ করে তাকে হ্যাক্টিভিস্ট বলা হয়।
হার্ডওয়্যার বস্তু যা বাস্তব। এটি আপনি শারীরিকভাবে স্পর্শ করতে এবং সরাতে পারেন। কম্পিউটার হার্ডওয়্যার স্পিকার, কীবোর্ড ইত্যাদি নিয়ে গঠিত।
ল্যাম্প একটি অ্যাব্রেভিয়েশন যা একটি কম্পিউটারের অপারেটিং সিস্টেমকে কভার করে। লিনাক্স, অ্যাপাচি, মাইএসকিউএল, পিএইচপি।
লিনাক্স সফটওয়্যারটির একটি অংশ যা উন্মুক্ত উৎসের ও আপনাকে নিজের অপারেটিং সিস্টেমটি সম্পূর্ণ করতে এবং লিখতে সক্ষম করে। অপারেটিং সিস্টেম ইউনিক্সের ভিত্তি ব্যবহার করে।
মেমস একটি প্রযুক্তি যা তার সবচেয়ে সাধারণ আকারে ক্ষুদ্র যান্ত্রিক এবং ইলেক্ট্রো-মেকানিক্যাল উপাদান (যেমন, ডিভাইস এবং কাঠামো) হিসাবে সংজ্ঞায়িত করা যেতে পারে যা কৌশলগুলি ব্যবহার করে তৈরি করা হয় মাইক্রো ফ্যাব্রিকেশন।
মাইক্রোসফট অফিস মাইক্রোসফট অফিস সিস্টেম মাইক্রোসফট দ্বারা তৈরি কম্পিউটার প্রোগ্রামগুলির একটি সংগ্রহ। প্রোগ্রাম সব ব্যবহারকারীর জন্য তৈরি করা হয়। হোম ব্যবহারকারীদের জন্য এবং ব্যবসায়িক ব্যবহারকারীদের জন্য সফটওয়্যারটির বিভিন্ন সংস্করণ রয়েছে।
নাসা ন্যাশনাল অ্যারোনটিক্স অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন।
ই এম এর নির্মাতারা যারা নিজের নামে এবং ব্র্যান্ডিংয়ের অধীনে অন্য সংস্থার পণ্য পুনরায় বিক্রয় করে।
ওপেন অফিস একটি উন্মুক্ত উৎসের অফিস প্রোডাক্টিভিটি স্যুট। সফটওয়্যার মাইক্রোসফট উইন্ডোজ, অ্যাপল ম্যাকস এবং লিনাক্স সহ সমস্ত প্রধান অপারেটিং সিস্টেমের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
উন্মুক্ত উৎসের এমন সফটওয়্যার নির্দেশ করা যার জন্য মূল উত্স কোডটি বিনামূল্যে উপলব্ধ করা হয়েছে এবং পুনরায় বিতরণ এবং সংশোধন করা যেতে পারে।
মেরুকরণ সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে (একটি ট্রান্সভার্স তরঙ্গ, বিশেষত আলো) এর কম্পনকে এক দিকে সীমাবদ্ধ করুন।
গোপনীয়তা এমন একটি রাষ্ট্র যেখানে কেউ অন্য লোকেদের দ্বারা পর্যবেক্ষণ বা বিরক্ত হয় না।
মালিকানা সফটওয়্যার যা কোনও ব্যক্তি বা সংস্থার মালিকানাধীন (সাধারণত এটি বিকাশকারী)। এর ব্যবহারের উপর প্রায় সর্বদা বড় বিধিনিষেধ রয়েছে এবং এর উত্স কোডটি প্রায় সর্বদা গোপন রাখা হয়।
সার্ভার একটি কম্পিউটার বা কম্পিউটার প্রোগ্রাম যা একটি নেটওয়ার্কে একটি কেন্দ্রীভূত সম্পদ বা পরিষেবা প্রাপ্যতা পরিচালনা করে।
সফটওয়্যার একটি কম্পিউটার দ্বারা ব্যবহৃত প্রোগ্রাম এবং অন্যান্য অপারেটিং তথ্য।
সিস্টেম একটি প্রক্রিয়া বা একটি আন্তঃসংযোগকারী নেটওয়ার্কের অংশ হিসাবে একসাথে কাজ করা জিনিসগুলির একটি সেট; একটি জটিল সমগ্র।
টেলিটেক্সট পাঠ্য এবং গ্রাফিক্স আকারে একটি সংবাদ এবং তথ্য পরিষেবা, উপযুক্ত রিসিভার সহ টেলিভিশনগুলিতে বিদ্যমান টেলিভিশন চ্যানেলগুলির অতিরিক্ত ক্ষমতা ব্যবহার করে প্রেরণ করা হয়।
0g3y4g7l75ppomduf9fvpsfxldfr153
চিন্তন ও নির্দেশনা/সমস্যা সমাধান, সমালোচনামূলক চিন্তন ও যুক্তি
0
26209
85799
84131
2025-07-07T22:09:08Z
NusJaS
8394
85799
wikitext
text/x-wiki
আমরা প্রতিনিয়ত এমন বহু অস্পষ্টতা, মিথ্যা তথ্য, চ্যালেঞ্জ কিংবা পরিস্থিতির মুখোমুখি হই যা আমাদের ''[[চিন্তন ও নির্দেশনা/সমস্যা সমাধান, সমালোচনামূলক চিন্তন ও যুক্তি#glos সমালোচনামূলক চিন্তন|সমালোচনামূলক চিন্তন]],'' ''[[চিন্তন ও নির্দেশনা/সমস্যা সমাধান, সমালোচনামূলক চিন্তন ও যুক্তি#glos সমস্যা সমাধানের দক্ষতা|সমস্যা সমাধানের দক্ষতা]]'', এবং ''[[চিন্তন ও নির্দেশনা/সমস্যা সমাধান, সমালোচনামূলক চিন্তন ও যুক্তি#glos যুক্তি প্রদর্শনের দক্ষতা|যুক্তি প্রদর্শনের দক্ষতা]]'' প্রয়োগের দাবি রাখে। যদিও এই তিনটি শব্দ প্রায়ই একে অপরের পরিবর্তে ব্যবহার করা হয়, তবে এগুলোর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য রয়েছে। সমালোচনামূলক চিন্তন আমাদের পাঁচটি ইন্দ্রিয়ের মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্যের সাথে সক্রিয়ভাবে যুক্ত হতে এবং সেসব তথ্য নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা করতে সক্ষম করে। এটি আমাদের জ্ঞান বিশ্লেষণ, সমালোচনা, প্রয়োগ এবং নতুন ধারণা তৈরির ক্ষমতা প্রদান করে। সমালোচনামূলক চিন্তনকে সমস্যার সমাধান ও যুক্তি প্রদর্শনের একটি বিস্তৃত জ্ঞানগত দক্ষতা হিসেবে ধরা যায়। সমালোচনামূলক চিন্তনর মাধ্যমে আমরা কিছু যৌক্তিক সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারি, তবে সবসময় একটি নির্দিষ্ট 'সঠিক' ধারণা থাকে না। যা আমাদের কাছে 'সঠিক' মনে হয়, তা প্রায়ই খুবই বিষয়ভিত্তিক।
সমস্যা সমাধান হচ্ছে সমালোচনামূলক চিন্তনর একটি রূপ। এখানে শিক্ষার্থীদের এমন সিদ্ধান্ত নিতে হয় যা একটি নির্দিষ্ট সঠিক উত্তরের পরিবর্তে সম্ভাব্য সেরা সমাধান খুঁজে বের করার দিকে পরিচালিত করে, তা সমস্যা সুনির্দিষ্ট হোক বা অস্পষ্ট। সমস্যার সমাধানে অংশগ্রহণের একটি উপায় হলো জ্ঞানীয় শিক্ষক বা কগনিটিভ টিউটরের মতো টিউটর সিস্টেম ব্যবহার করা। এটি শিক্ষার্থীদের জন্য সমস্যা কাস্টমাইজ করতে পারে এবং তাদের শেখার অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করে। সমস্যার সমাধানের ক্ষেত্রে একটি বিশেষ পদ্ধতি হলো প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা। এখানে শিক্ষার্থীকে একটি কেন্দ্রীয় প্রশ্ন সমাধানের উপর গুরুত্ব দিয়ে শেখার কেন্দ্রে রাখা হয় এবং একটি বিস্তৃত অনুসন্ধানের মধ্য দিয়ে শেখানো হয়। সমস্যা ভিত্তিক শিক্ষা বাস্তব জীবনের সমস্যা নিয়ে কাজ করে যা শিক্ষার্থীদের বাস্তব অভিজ্ঞতার মাধ্যমে শেখাতে অনুপ্রাণিত করে। আরও একটি পদ্ধতি নকশা চিন্তন। এটি একটি নির্দিষ্ট কাঠামো ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের প্রকৃত সমস্যা সমাধানের জন্য একটি প্রোটোটাইপ তৈরি করতে উৎসাহিত করে। এই প্রক্রিয়াটিতে সহানুভূতি, বাস্তবসম্মত নকশা নীতিমালা এবং প্রোটোটাইপিং এর পরিশোধন প্রমাণ করে যে এখানে সমালোচনামূলক চিন্তন সক্রিয়ভাবে কাজ করছে।
একইভাবে, যুক্তি প্রদর্শন একটি সমালোচনামূলক চিন্তার প্রক্রিয়া। এখানে একক উত্তর না থাকলেও চিন্তা-ভাবনার মধ্যে আলোচনার প্রয়োজন পড়ে। যুক্তি প্রদর্শন বিশেষভাবে একটি দাবি বা ধারণাকে সমর্থন বা খণ্ডন করার জন্য যৌক্তিক ব্যাখ্যা ব্যবহার করে। তুলনামূলকভাবে, সমস্যা সমাধান হয়তো এমন একটি সমাধানে পৌঁছাতে পারে যা প্রমাণভিত্তিক বলে বিবেচিত হয়।
এই অধ্যায়ে এই তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের একটি তাত্ত্বিক পর্যালোচনা প্রদান করা হয়েছে: প্রতিটির বৈশিষ্ট্য, একে অপরের সাথে সম্পর্ক, এবং শ্রেণিকক্ষে বাস্তব প্রয়োগ।
'''শিক্ষার ফলাফল:'''
* সমালোচনামূলক চিন্তনর সংজ্ঞা ও এর জ্ঞানের সাথে পারস্পরিক সম্পর্ক ব্যাখ্যা করা
*
* সমস্যা সমাধানের সংজ্ঞা এবং কীভাবে এটি সমালোচনামূলক চিন্তনর মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করে তা ব্যাখ্যা করা
*
* জ্ঞানীয় শিক্ষক কে একটি জ্ঞানীয় শেখার টুল হিসেবে উপস্থাপন করা। এটি সমস্যার সমাধানের মাধ্যমে শেখার মান উন্নত করে
*
* প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা কে সমস্যার সমাধানের একটি নির্দিষ্ট পদ্ধতি হিসেবে অনুসন্ধান করা
*
* নকশা চিন্তন কে প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা-এর একটি উপশ্রেণি হিসেবে বিশ্লেষণ করা এবং শেখার জন্য এর কাঠামো উপস্থাপন করা
*
* যুক্তি প্রদর্শনের সংজ্ঞা এবং এটি কীভাবে সমালোচনামূলক চিন্তার পদ্ধতি ব্যবহার করে তা ব্যাখ্যা করা
*
* যুক্তি প্রদর্শনের জন্য নির্দিষ্ট পদ্ধতি ও প্রয়োগের উপকরণ বিশ্লেষণ করা
= সমালোচনামূলক চিন্তন =
[[চিত্র:Critical_Thinking_Skills_Diagram.jpg|alt=সমালোচনামূলক চিন্তন এবং অন্যান্য জ্ঞানীয় দক্ষতার সাথে এর সম্পর্ক|থাম্ব|সমালোচনামূলক চিন্তন এবং অন্যান্য জ্ঞানীয় দক্ষতার সাথে এর সম্পর্ক]]
সমালোচনামূলক চিন্তন শিক্ষার একটি অত্যন্ত মূল্যবান দিক। মানুষের জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা যত বাড়ে, সমালোচনামূলক চিন্তনর ক্ষমতাও সাধারণত বাড়ে; কিন্তু এই বিকাশ যত তাড়াতাড়ি শুরু করা যায় ততই ভালো। গবেষণায় দেখা গেছে, সমালোচনামূলক চিন্তনর দক্ষতা জ্ঞানের স্থানান্তরের সাথে সম্পর্কযুক্ত, আর এই দক্ষতার অভাব পক্ষপাতদুষ্ট যুক্তির সাথে সম্পর্কিত <ref>Heijltjes, A., Van Gog, T., & Paas, F. (2014). Improving Students' Critical Thinking: Empirical Support for Explicit Instructions Combined with Practice. Applied Cognitive Psychology, 28(4), 518-530.</ref>। শিশুরা প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা শুরু করার আগেই বাড়িতে বাবা-মা ও অভিভাবকদের সাথে পারস্পরিক মিথস্ক্রিয়ার মাধ্যমে সমালোচনামূলক চিন্তন গড়ে তোলে <ref name=":16">Murphy, K. P., Rowe, M. L., Ramani, G., & Silverman, R. (2014). Promoting Critical-Analytic Thinking in Children and Adolescents at Home and in School. Educational Psychology Review, 26(4), 561-578.</ref>। এছাড়াও, স্পষ্ট নির্দেশনা দিলে এই দক্ষতা আরও বাড়ে <ref>Gick, M. L. (1986). Problem-Solving Strategies. Educational Psychologist, 21(1/2), 99-121.</ref>।
সমালোচনামূলক চিন্তন আমাদের এমন সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করে যা আমাদের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে যেমন নির্বাচন। এখানে প্রার্থীরা নিজেদের ও অন্যদের সম্পর্কে পক্ষপাতদুষ্ট তথ্য উপস্থাপন করে, খুব কার্যকর হয়। সমালোচনামূলক চিন্তনর অনুপস্থিতিতে মানুষ মিথ্যা তথ্য ও পক্ষপাতদুষ্ট যুক্তির শিকার হয়ে পড়তে পারে। তাই শিক্ষার্থীদেরকে সমালোচনামূলক চিন্তনর সাথে পরিচিত করানো এবং তারা যেন এটি ব্যবহার করে তা উৎসাহিত করা খুব জরুরি।
=== সমালোচনামূলক চিন্তনর সংজ্ঞা ===
সাধারণভাবে, সমালোচনামূলক চিন্তন বলতে বোঝায় যুক্তি এবং প্রমাণের মূল্যায়নের একটি প্রক্রিয়া। এর মাধ্যমে বিভিন্ন সম্ভাব্য সিদ্ধান্তের মধ্যে সবচেয়ে যথাযথ ও যুক্তিসম্মত সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যায়। এটি একটি গতিশীল এবং প্রতিফলনশীল প্রক্রিয়া। এটি মূলত প্রমাণভিত্তিক <ref name=":15">Ku, K. Y., Ho, I. T., Hau, K., & Lau, E. C. (2014). Integrating direct and ''[[চিন্তন ও নির্দেশনা/সমস্যা সমাধান, সমালোচনামূলক চিন্তন ও যুক্তি#glos Inquiry-Based Instruction|Inquiry_Based Instruction]]'' in the teaching of critical thinking: An intervention study. Instructional Science, 42(2), 251-169.</ref>।
সমালোচনামূলকভাবে চিন্তা করা মানে হলো তথ্যকে নিরপেক্ষভাবে বিশ্লেষণ করা, বিপরীতমুখী মতামত অন্বেষণ করা এবং অবশেষে প্রমাণ ও সুপরিকল্পিত চিন্তার ভিত্তিতে একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছানো। সমালোচনামূলক চিন্তাবিদেরা সরবরাহকৃত তথ্যের বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে, প্রমাণ অনুসন্ধান করে এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও জটিল সমস্যার সমাধানে দ্বিধা করেন না <ref name=":14">Mathews, S. R., & Lowe, K. (2011). Classroom environments that foster a ''[[চিন্তন ও নির্দেশনা/সমস্যা সমাধান, সমালোচনামূলক চিন্তন ও যুক্তি#glos Disposition for Critical Thinking|Disposition for Critical Thinking]]''. Learning Environments Research, 14(1), 59-73.</ref>। প্রশ্ন করা, কোনো বিষয় নিয়ে বিতর্ক করা, এবং তথ্যের উৎসের বিশ্বাসযোগ্যতা পর্যালোচনা করাও সমালোচনামূলক চিন্তার উদাহরণ।
গ্লেজার (১৯৪১) এর মতে, সমালোচনামূলক চিন্তনর তিনটি প্রধান উপাদান আছে: সমালোচনামূলক চিন্তার মানসিকতা, এই চিন্তাভাবনার কৌশল সম্পর্কে জ্ঞান, এবং কৌশলগুলো প্রয়োগ করার সক্ষমতা <ref>Glaser, E. M. (1941). An Experiment in the Development of Critical Thinking. Columbia University.</ref>।
তথ্যকে বিশ্লেষণ ও মূল্যায়নের মতো জ্ঞানীয় প্রক্রিয়াগুলোর মাধ্যমে সমালোচনামূলক চিন্তন কোনো বিষয় বা সমস্যাকে আরও গভীরভাবে বোঝার পথে নিয়ে যায়। চিন্তার একটি প্রতিফলনমূলক রূপ হিসেবে এটি নিজস্ব ধারণা, উদ্দেশ্য, অনুভূতি এবং আচরণ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে <ref name=":13">Phan, H.P. (2010). Critical thinking as a self-regulatory process component in teaching and learning. Psicothema, 22(2). 284-292.</ref>।
{| class="wikitable"
|<big>'''সমালোচনামূলক চিন্তনর উপাদান'''</big>
|-
|''[[চিন্তন ও নির্দেশনা/সমস্যা সমাধান, সমালোচনামূলক চিন্তন ও যুক্তি#glos Knowledge|জ্ঞান]]''
|একটি জ্ঞানের ভিত্তি গড়ে তোলা এবং জ্ঞান অর্জনের জন্য নির্দিষ্ট কৌশল তৈরি করা। এটি নির্দেশনার মাধ্যমে আরও কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
|-
|''[[চিন্তন ও নির্দেশনা/সমস্যা সমাধান, সমালোচনামূলক চিন্তন ও যুক্তি#glos Inference|অনুমান]]''
|বিদ্যমান জ্ঞানের ভিত্তির মধ্যে সংযোগ তৈরি করা ''[[চিন্তন ও নির্দেশনা/সমস্যা সমাধান, সমালোচনামূলক চিন্তন ও যুক্তি#glos Deduction|নির্গমন]]'' এবং/বা ''[[চিন্তন ও নির্দেশনা/সমস্যা সমাধান, সমালোচনামূলক চিন্তন ও যুক্তি#glos Induction|অনুমিতি]]'' এর মাধ্যমে।
|-
|''[[চিন্তন ও নির্দেশনা/সমস্যা সমাধান, সমালোচনামূলক চিন্তন ও যুক্তি#glos Evaluation|মূল্যায়ন]]''
|বিশ্লেষণ, বিচার, ওজন নির্ধারণ, নৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ, সমালোচনা এবং নিজস্ব ও বাহ্যিক তথ্যের প্রতি প্রশ্ন উত্থাপন।
|-
|''[[চিন্তন ও নির্দেশনা/সমস্যা সমাধান, সমালোচনামূলক চিন্তন ও যুক্তি#glos Metacognition|মেটাকগনিশন]]''
|"চিন্তার বিষয়ে চিন্তা" করার প্রক্রিয়া। এর মধ্যে নিজের সিদ্ধান্ত, মতামত বা বিশ্বাসগুলি যথাযথ ও প্রমাণসমর্থিত কি না তা মূল্যায়ন অন্তর্ভুক্ত।
|}
=== সমালোচনামূলক চিন্তন একটি পশ্চিমা ধারণা ===
[[চিত্র:EPSA_General_Assembly.jpg|alt=সমালোচনামূলক চিন্তনকে সব গণতান্ত্রিক নাগরিকদের জন্য অপরিহার্য বলে বিবেচনা করা হয়|থাম্ব|সমালোচনামূলক চিন্তনকে সব গণতান্ত্রিক নাগরিকদের জন্য অপরিহার্য বলে বিবেচনা করা হয়]]
আধুনিক শিক্ষায়, সমালোচনামূলক চিন্তনকে এমন একটি বিষয় হিসেবে বিবেচনা করা হয় যা সকলের শেখা উচিত এবং যা মানুষের সার্বজনীন প্রয়োজন, বিশেষ করে উচ্চশিক্ষায় <ref name=":0">Moon, J. (2007). Critical Thinking: An Exploration of Theory and Practice (1st ed.). London ; New York: Routledge.</ref><ref name=":18">Kurfiss, J. G. (1988). Critical Thinking: Theory, Research, Practice, and Possibilities: ASHE-ERIC/Higher Education Research Report, Volume 17, Number 2, 1988 (1st ed.). Washington, D.C: Jossey-Bass.</ref>। তবে, সমালোচনামূলক চিন্তন একটি মানবিক নির্মাণ <ref name=":19">Board on Testing and Assessment, Division of Behavioral and Social Sciences and Education, & National Research Council. (2011). Assessing 21st Century Skills: Summary of a Workshop. National Academies Press.</ref> – এটি কোনো বৈজ্ঞানিক সত্য নয় – এবং এটি [[w:Ancient_Greek_philosophy|প্রাচীন গ্রিক দর্শন]] ও বিশ্বাসের সাথে গভীরভাবে যুক্ত <ref name=":1">Mason, M. (2009). Critical Thinking and Learning. John Wiley & Sons.</ref>।
এই সংযোগ প্রাচীন গ্রিসের যুক্তিবাদী চিন্তার প্রাধান্য এবং গণতান্ত্রিক নীতির প্রতিফলন করে <ref name=":1" />। এল্ডার ও পল<ref name=":5">Elder, L., & Paul, R. (2009). The Art of Asking Essential Questions (5th Edition). Dillon Beach, CA: Foundation for Critical Thinking</ref>, মুন<ref name=":0" />, এবং স্ট্যানলিক এবং স্ট্রসার<ref name=":6">Paul, R., & Elder, L. (2007). The Thinker’s Guide to The Art of Socratic Questioning. Dillon Beach, CA: The Foundation for Critical Thinking.</ref> সহ বিভিন্ন লেখক বিশ্বাস করেন যে সমালোচনামূলক চিন্তনর সূত্রপাত [[w:Socrates|সক্রেটিসের]] সময় থেকেই হয়েছে। মরগান ও স্যাক্সটন (২০০৬) সমালোচনামূলক চিন্তনকে গণতান্ত্রিক নাগরিকদের একটি মৌলিক প্রয়োজনীয়তা হিসেবে দেখেছেন <ref name=":3">Morgan, N., & Saxton, J. (2006). Asking Better Questions (2nd ed.). Markham, ON: Pembroke Publishers.</ref>।
প্রাচীন গ্রিসের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ হলো সক্রেটীয় পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে দুটি বা ততোধিক ব্যক্তির মধ্যে যুক্তিপূর্ণ প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমে আলোচনা হয়। এখানে তারা একে অপরের মতবাদ চ্যালেঞ্জ করে <ref name=":2">Cain, R. B. (2007). The Socratic Method: Plato’s Use of Philosophical Drama. A&C Black.</ref>। এমন আলোচনা বাস্তবতা ও মতামতের দ্বৈততার বিষয় উত্থাপন করে। এখানে একটি ‘সঠিক উত্তর’ খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা করা হয়, তবে এই পদ্ধতির মধ্য দিয়েই মতবাদের বিষয়ভিত্তিকতা ফুটে ওঠে <ref name=":2" />।
এই প্রাচীন গ্রিক সংযোগের কারণে সমালোচনামূলক চিন্তনকে সাধারণত একটি পশ্চিমা ধারণা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ ধারণা আরও জোরালো হয় [[w:Bloom's_taxonomy|ব্লুমের শ্রেণিবিন্যাস]] নামক আরেকটি পশ্চিমা কাঠামোর মাধ্যমে। এটি আধুনিক শিক্ষায় সমালোচনামূলক চিন্তনর মূলে বিবেচিত <ref>Harmon, D. A., & Jones, T. S. (2005). Elementary Education: A Reference Handbook. ABC-CLIO.</ref>।
যেহেতু সমালোচনামূলক চিন্তন একটি মানবিক নির্মাণ, তাই এটি কেমন হওয়া উচিত তা ব্যক্তি থেকে ব্যক্তিভেদে ভিন্ন হতে পারে। মুন (২৯৯৭) তার কর্মশালাগুলো থেকে সমালোচনামূলক চিন্তনর ২১টি সাধারণ সংজ্ঞা তুলে ধরেছেন এবং তারপর নিজের ২-পৃষ্ঠার সংজ্ঞা প্রদান করেছেন <ref name=":0" />। একটি মতামত অনুসারে, সমালোচনামূলক চিন্তন এমন একটি দক্ষতার সমষ্টি যা কাউকে যুক্তিযুক্ত সিদ্ধান্ত নিতে এবং এমন প্রেক্ষাপটে সিদ্ধান্ত দিতে সক্ষম করে যেখানে পূর্ব জ্ঞান বিদ্যমান <ref name=":19" />। আরেকটি মত অনুযায়ী, এটি একটি পদ্ধতিগত যুক্তি ও বিশ্লেষণের ব্যবহার। এটি সবসময় প্রমাণভিত্তিক না হলেও যুক্তিনির্ভর ও বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করে <ref>Stanley, T., & Moore, B. (2013). Critical Thinking and Formative Assessments: Increasing the Rigor in Your Classroom. Routledge.</ref>। শেষ পর্যন্ত মুন এর মতে, সমালোচনামূলক চিন্তনর নির্দিষ্ট কোনো সঠিক বা ভুল সংজ্ঞা নেই <ref name=":0" />।
=== বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলে সমালোচনামূলক চিন্তন ===
গবেষকেরা যুক্তি দেন যে সমালোচনামূলক চিন্তনর ধারণাটি যদিও পশ্চিমা, গণতান্ত্রিক দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্কিত, তবে এর অর্থ এই নয় যে অন্যান্য অ-পশ্চিমা সংস্কৃতিগুলোর মধ্যে সমালোচনামূলক চিন্তন সংক্রান্ত অনুরূপ কোনো গঠন বা চর্চা নেই <ref name=":4">Jung, I., Nishimura, M., & Sasao, T. (2016). Liberal Arts Education and Colleges in East Asia: Possibilities and Challenges in the Global Age. Springer.</ref>। বরং, “যুক্তি প্রদর্শনের বিভিন্ন পন্থা বা রূপ বিদ্যমান” <ref>Mason, M. (2009). Critical Thinking and Learning. John Wiley & Sons. p. 8.</ref>; যেমন, এশীয় অঞ্চলে বিতর্ক করার পদ্ধতিতে একে অপরের বিরোধী মতামতের মধ্যে সংযোগ খোঁজার চেষ্টা করা হয় যাতে এই মতাদর্শগুলো সহাবস্থান করতে পারে <ref name=":4" />। এটি পূর্বাচলিত মুখরক্ষা মূল্যবোধের কারণে ঘটে <ref name=":02" />। এর বিপরীতে, পশ্চিমা পন্থাগুলোকে প্রায়ই প্রতিযোগিতামূলক হিসেবে দেখা হয়: যেখানে অন্যের মতামত আক্রমণ করে নিজের অবস্থান রক্ষা করা হয়। যদিও এই বিভাজনমূলক সাধারণীকরণ বিদ্যমান, পূর্ব ও পশ্চিমা পন্থার মধ্যে বাস্তবিক দৃষ্টিকোণ থেকে অনেক মিল রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, এশীয় কূটনৈতিক বিতর্কপদ্ধতির ক্ষেত্রে যেমন সমঝোতা এবং আলোচনার প্রয়োজন হয়, তেমনি পশ্চিমা পন্থাগুলোর মধ্যেও এসব উপাদান থাকে কারণ ধারণাগুলো অনেক সময় জটিল হয় এবং অনেকগুলো 'সঠিক' উত্তর থাকতে পারে <ref name=":32" />। অনুরূপভাবে, অন্যান্য সংস্কৃতিগুলো কতটা পশ্চিমা সমালোচনামূলক চিন্তনর ধারণা গ্রহণ করে তা সংস্কৃতিগত মূল্যবোধ দ্বারা নির্ধারিত হয়। উদাহরণস্বরূপ, মুসলিম সংস্কৃতিগুলোতে সমালোচনামূলক চিন্তার মূল্য, নিজের মতামত প্রকাশের উপযুক্ততা সম্পর্কিত দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত <ref>Davies, M., & Barnett, R. (2015). The Palgrave Handbook of Critical Thinking in Higher Education. Springer.</ref>।
=== প্রবণতা ও সমালোচনামূলক চিন্তন ===
অনেকে মনে করেন যে কেবলমাত্র সমালোচনামূলক চিন্তনর দক্ষতা থাকাই যথেষ্ট নয়—সমালোচনামূলক চিন্তার জন্য একটি '''[[w:Disposition|প্রবণতা]]''' থাকা প্রয়োজন <ref name=":142" />। এই প্রবণতা বা মানসিক প্রস্তুতি কগনিটিভ স্কিল থেকে ভিন্ন। এটি ব্যাখ্যা করা যায় এমন একটি ক্ষমতা হিসেবে। এখানে কেউ সচেতনভাবে একটি দক্ষতা ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নেয়, কেবল তা প্রয়োগ করার সক্ষমতার বাইরে <ref name=":152" />। সমালোচনামূলক চিন্তার প্রবণতার মধ্যে বুদ্ধিবৃত্তিক কার্যকলাপে প্রকৃত আগ্রহ ও দক্ষতা থাকতে পারে। পারকিন্স প্রমুখ (২০০০) এই ধারণাটি প্রসারিত করে বলেন যে সমালোচনামূলক চিন্তার প্রবণতার তিনটি দিক রয়েছে: বুদ্ধিবৃত্তিক আচরণে অংশগ্রহণের একটি প্রবণতা; সুযোগগুলো সম্পর্কে সচেতনতা যেখানে এই আচরণগুলো চর্চা করা যায়; এবং সমালোচনামূলক চিন্তায় অংশগ্রহণের একটি সামগ্রিক সক্ষমতা <ref name=":142" />। হালপের্ন (১৯৯৮) উল্লেখ করেন যে এই প্রবণতার মধ্যে কঠিন কাজ চালিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা, উদার মনের মানসিকতা এবং পরিকল্পনার অভ্যাস থাকা উচিত <ref name=":142" />। ক্লিফোর্ড প্রমুখ (২০০৪) পরিচালিত একটি কগনিটিভ স্কিল গবেষণায় দেখা গেছে যে সমালোচনামূলক চিন্তার প্রবণতা ভালো সমালোচনামূলক চিন্তাধারার দক্ষতার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত <ref name=":152" />।
নিম্নোক্ত বৈশিষ্ট্যগুলো হলো ব্যক্তির মনোভাব বা ব্যক্তিত্বের গুণাবলি, যেগুলো সমালোচনামূলক চিন্তনর দক্ষতা অর্জনে সহায়ক:
# জিজ্ঞাসু মনোভাব
# পদ্ধতিগত চিন্তা
# বিচারক্ষমতা সম্পন্ন
# সত্যান্বেষী
# বিশ্লেষণধর্মী
# উদারমনা
# যুক্তির উপর আস্থা
[[চিত্র:P_religion_world.svg|alt=ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক বিশ্বাস সমালোচনামূলক চিন্তার প্রবণতাকে প্রভাবিত করে|থাম্ব|ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক বিশ্বাস সমালোচনামূলক চিন্তার প্রবণতাকে প্রভাবিত করে]]
অনেকগুলো বিষয়ই কারও সমালোচনামূলক চিন্তার প্রবণতাকে প্রভাবিত করতে পারে; এর মধ্যে প্রথমটি হলো সংস্কৃতি <ref name=":142" />। সংস্কৃতির অনেক দিকই মানুষের সমালোচনামূলক চিন্তার সক্ষমতাকে প্রভাবিত করতে পারে। যেমন, ধর্ম অনেক সময় এই দক্ষতার বিকাশে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে <ref name=":142" />। অনেক ধর্মই বিশ্বাসের উপর প্রতিষ্ঠিত। এখানে প্রমাণ ছাড়াই অন্ধ বিশ্বাসের প্রয়োজন হয়। সংগঠিত ধর্মের এই বৈশিষ্ট্যটি সমালোচনামূলক চিন্তার মূল ভিত্তির বিরোধিতা করে, কারণ সমালোচনামূলক চিন্তা মূলত যেকোনো দাবির যথার্থতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা মূল্যায়ন করে। এমন পরিবেশে বেড়ে ওঠা একটি শিশুর এই দক্ষতা বিকাশে অন্তরায় হতে পারে। এই ধরনের পরিবেশ ধর্মীয় বিশ্বাস প্রশ্নবিদ্ধ করার প্রবণতা বা ধর্মের গ্রহণযোগ্যতা বিশ্লেষণের মনোভাবকে দমন করতে পারে। আরেকটি সাংস্কৃতিক উপাদান হলো কর্তৃত্ব <ref name=":142" />। একজন শিশু যদি কর্তৃত্ববাদী অভিভাবকত্বে বেড়ে ওঠে, তবে তাদের জীবনের অনেক দিকেই নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে, কিন্তু বিশেষভাবে সমালোচনামূলক চিন্তার ওপর এর প্রভাব বেশি পড়ে, কারণ সেখানে কর্তৃত্বের বিশ্বাসযোগ্যতা প্রশ্ন করা শেখানো হয় না এবং কেউ করলে তাকে শাস্তি দেওয়া হয়। এই একই বিষয় শ্রেণিকক্ষেও প্রযোজ্য <ref name=":142" />। শ্রেণিকক্ষের এমন পরিবেশ। এখানে শিক্ষকেরা মুক্ত আলোচনার পরিবেশ তৈরি করেন না বা শিক্ষার্থীদের শেখানো বিষয়ে প্রশ্ন তুলতে দেন না, তা সমালোচনামূলক চিন্তার বিকাশে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। যেখানে প্রশ্ন করা নিরুৎসাহিত করা হয় বা বাড়িতে অভিভাবকীয় কর্তৃত্ব খুব বেশি, সেসব পরিবেশ শিক্ষার্থীদের চিন্তার স্বাধীনতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। উপরন্তু, এসব শিক্ষার্থী হয়তো আজীবন এমন পরিবেশে অভ্যস্ত হয়ে ওঠে <ref name=":142" />। তবে, এই সাংস্কৃতিক সীমাবদ্ধতাগুলো সত্ত্বেও, ঘর ও শ্রেণিকক্ষে সমালোচনামূলক চিন্তার প্রবণতা গড়ে তোলার উপায় রয়েছে।
শ্রেণিকক্ষের গঠনই এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায়। এর মাধ্যমে এই প্রবণতাগুলোকে উৎসাহিত করা যায়। এমন শ্রেণিকক্ষের কাঠামো তৈরি করা। এখানে শিক্ষার্থীরা কী পড়বে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে পারে, তা সমালোচনামূলক চিন্তা প্রবণতা গঠনে সহায়ক হতে পারে <ref name=":142" />। এ ধরনের কাঠামো শিক্ষার্থীদের শেখার বিষয়ের প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি করে এবং সেই সঙ্গে এমন একটি শ্রেণিকক্ষের পরিবেশ তৈরি করে যেখানে শিক্ষার্থীরা শিক্ষক এবং সহপাঠীদের মতামত ও বিশ্বাস সম্পর্কে প্রশ্ন তুলতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে। শিক্ষার্থীদের দেওয়া তথ্য বিশ্লেষণ ও মূল্যায়নের স্বাধীনতা দেওয়া, এমন একটি শ্রেণিকক্ষের পরিবেশ তৈরি করে যেখানে সমালোচনামূলক চিন্তা প্রবণতা বিকাশ সম্ভব। এই স্বাধীনতা শিক্ষার্থীদের বৃহত্তর শ্রেণিকক্ষ কাঠামোর ভেতরেও স্বতন্ত্র ব্যক্তি হিসেবে গড়ে ওঠার সুযোগ দেয় এবং তাদের নিজের সিদ্ধান্ত নিজেরাই নেওয়ার ক্ষমতা অর্জনের পথ করে দেয়। শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের ক্ষমতা ভাগ করে দেওয়া তাদের উদ্দীপনা ধরে রাখা ও বিশ্লেষণধর্মী মনোভাব গড়ে তোলার ক্ষেত্রে অত্যন্ত কার্যকর হতে পারে <ref name=":142" />। শিক্ষকরা শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের স্বতন্ত্রতা গঠনের জন্য বিভিন্ন কৌশল ব্যবহার করতে পারেন। শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন ভূমিকা পালন করতে দেওয়া যেতে পারে, যেমন পূর্বানুমান করা বা সমস্যা বিশ্লেষণ করা <ref name=":142" />। শিক্ষার্থীদের সামনে উপস্থাপিত সমস্যাগুলোতে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করতে দেওয়া, কেবল পাঠ্যপুস্তক বা শিক্ষকের মতামত শেখানো নয়, বরং নিজের মত গঠনের জন্য শিক্ষার্থীদের স্বাধীনতা দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। এর পাশাপাশি, বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করা ও বিশ্লেষণ করাও সমালোচনামূলক চিন্তা প্রবণতা গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এতে শিক্ষার্থীরা নিজেরাই তথ্য খুঁজে বের করে, বিশ্লেষণ করে এবং নিজস্ব সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারে <ref name=":142" />। এইভাবে শিক্ষার্থীরা তাদের পূর্বানুমান ও গবেষণার ফলাফল বিশ্লেষণ করে সেই ধারণাগুলোর যথার্থতা মূল্যায়ন করতে পারে <ref name=":142" />।
=== আত্ম-নিয়ন্ত্রণ ও সমালোচনামূলক চিন্তন ===
শিক্ষকদের উচিত, সমালোচনামূলক চিন্তা শেখানোর পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের '''[[w:আত্ম-নিয়ন্ত্রণ|আত্ম-নিয়ন্ত্রণ]]''' বজায় রাখার দিকেও নজর দেওয়া। নতুন কোনো দক্ষতা শেখার সময় শিক্ষার্থীদের তাদের শেখার প্রতি মোটিভেশন বজায় রাখতে এবং আত্মপ্রণোদিত মনোভাব রাখার প্রয়োজন হয়। ফ্যান (২০১০)-এর একটি প্রবন্ধে বলা হয়েছে। এরা আত্ম-নিয়ন্ত্রিত শিক্ষার্থী, তারা লক্ষ্যের প্রতি বেশি মনোযোগী হয়, নিজেদের শেখার জন্য আরও বেশি দায়িত্বশীল হয়, তাদের মোটিভেশন বজায় থাকে, এবং তারা কগনিটিভভাবে আরও নমনীয় হয়। এর ফলে তারা সমালোচনামূলক চিন্তা চর্চায় আগ্রহী হয়। যেহেতু সমালোচনামূলক চিন্তন দক্ষতা অত্যন্ত প্রতিফলনমুখী, তাই তা আত্ম-নিয়ন্ত্রিত শিক্ষায় সহায়তা করে এবং বিপরীতভাবে আত্ম-নিয়ন্ত্রণমূলক কৌশলগুলো সমালোচনামূলক চিন্তন দক্ষতা গঠনে সহায়তা করে <ref name=":132" />।
[[চিন্তন ও নির্দেশনা/সমস্যা সমাধান, সমালোচনামূলক চিন্তন ও যুক্তি#আত্ম-নিয়ন্ত্রণ|আত্ম-নিয়ন্ত্রণ]] শিক্ষার্থীদের সক্রিয়ভাবে শেখার জন্য প্রয়োজনীয় মৌলিক মেটা-কগনিটিভ সচেতনতা দেয়। এই সচেতনতা শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন, প্রতিফলন এবং যুক্তিসিদ্ধ সিদ্ধান্ত নেওয়ার মতো সমালোচনামূলক চিন্তা প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণে সহায়তা করে। নিজের চিন্তাভাবনা মূল্যায়নের মেটা-কগনিটিভ ক্ষমতার মাধ্যমে, একজন শিক্ষার্থী শেখার ক্ষেত্রে আত্মনির্ভরশীল হয়ে উঠতে পারে <ref name=":132" />। প্রতিটি কাজে একজন তত্ত্বাবধায়ক থাকা না লাগলেও শিক্ষার্থী নিজেই নিজের অগ্রগতি মূল্যায়ন করে নিজস্ব গতিতে এগিয়ে যেতে পারে, এটাই SRL-এর মূলনীতি। এই প্রক্রিয়ার অংশ হলো একজন শিক্ষার্থীর নিজস্ব কৌশল নিয়ে নিয়মিতভাবে প্রতিফলন করা। এই প্রতিফলন সমালোচনামূলক চিন্তা-এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীর শেখার পদ্ধতি অনুযায়ী উপযুক্ত কৌশল বেছে নিতে সাহায্য করে।
সমালোচনামূলক চিন্তা-এর জটিল প্রকৃতি ইঙ্গিত করে যে এটি একটি দীর্ঘমেয়াদী বিকাশ প্রক্রিয়া। এখানে দিকনির্দেশনা, চর্চা ও পুনরাবৃত্তি প্রয়োজন। এই প্রক্রিয়াকে সহজ করতে, আত্ম-পর্যবেক্ষণ আত্ম-নিয়ন্ত্রণের প্রাথমিক ধাপ হিসেবে কাজ করে। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা তাদের নিজের শিক্ষা অর্জনের প্রতিফলন শুরু করতে পারে। এই মূল্যায়ন অ্যাকাডেমিক সক্ষমতা সম্পর্কে মোটিভেশনাল বিশ্বাস সৃষ্টি করে আত্ম-দক্ষতা বৃদ্ধি করে <ref name=":132" />। এরপর চর্চার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা তাদের সমালোচনামূলক চিন্তন দক্ষতাকে নিজেদের পরিধি ছাড়িয়ে শিক্ষাগত প্রেক্ষাপটে প্রসারিত করতে পারে। নিয়মিত চর্চার মাধ্যমে, শিক্ষার্থীরা তাদের মেটা-কগনিটিভ কৌশলকে দীর্ঘমেয়াদী সমালোচনামূলক চিন্তন দক্ষতা গঠনের ভিত্তি হিসেবে ব্যবহার করতে পারে।
== সমালোচনামূলক চিন্তনর কৌশলসমূহ ==
[[চিত্র:Studysuccessweb.jpg|থাম্ব|ধারণাচিত্র]]
মনোবিজ্ঞানী ও শিক্ষাবিদেরা সমালোচনামূলক চিন্তার বিকাশের জন্য বহু কৌশল আবিষ্কার করেছেন। এই কৌশলগুলোর মধ্যে কিছু খুব পরিচিত, যেমন [[w:ধারণাচিত্র|ধারণাচিত্র]] বা [[w:Venn_diagram|ভেন চিত্র]], আবার কিছু কম পরিচিত যেমন, "আপিল-কোয়েশ্চন স্টিমুলাস স্ট্র্যাটেজি" <ref name=":17">Cibáková, D. (2015). Methods of developing critical thinking when working with educative texts. E-Pedagogium, (2), 135-145.</ref>। ধারণাচিত্র মানচিত্র ধারণা ও বিষয়বস্তুর পারস্পরিক সম্পর্ক চিত্রিত করতে সহায়ক, এবং ভেন চিত্র সাধারণত পরস্পরবিরোধী ধারণা উপস্থাপনের জন্য ব্যবহৃত হয় <ref name=":17" />।
=== ভেন চিত্র ===
[[চিত্র:Venn-and.svg|alt=ভেন ডায়াগ্রাম|থাম্ব|ভেন চিত্র]]
উচ্চ বিদ্যালয় ৭ম শ্রেণি থেকেই গণিতে সেট অধ্যায়ে ভেন চিত্র প্রায়ই ব্যবহৃত হয়। অন্য পর্যায়েও তুলনামূলক বিশ্লেষণের জন্য এটি ব্যবহৃত হয়। উদাহরণস্বরূপ, বিজ্ঞান ক্লাসে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন গাছ বা প্রাণীর তুলনা ও বিপরীত বৈশিষ্ট্য উপস্থাপনার জন্য ভেন চিত্র তৈরি করতে বলা যেতে পারে। ধারণাচিত্র মানচিত্র প্রাথমিক পর্যায়ে পরিচয় করিয়ে দেওয়া গেলেও তা মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা পর্যায়ে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়। এই ধরনের মানচিত্র শিক্ষার্থীদের পাঠ্যবিষয়ের সঙ্গে যুক্ত থাকতে উৎসাহিত করার একটি সক্রিয় ও বহুমাত্রিক পন্থা।
একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো কনসেপ্ট ম্যাপিং শিক্ষার্থীদের পূর্বে শেখা তথ্য নিয়ে চিন্তা করতে এবং সংযোগ তৈরি করতে উদ্বুদ্ধ করে। প্রাথমিক শ্রেণিগুলোতে, কনসেপ্ট ম্যাপ প্রকল্প হিসেবে উপস্থাপন করা যেতে পারে, আর পরবর্তীতে, যেমন কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে, শিক্ষার্থীরা এটি একটি অধ্যয়ন কৌশল হিসেবে ব্যবহার করতে পারে। প্রাথমিক স্তরে, শিক্ষার্থীরা তাদের পড়া গল্পে চরিত্র, স্থান বা কাহিনির মধ্যে সংযোগ স্থাপনে কনসেপ্ট ম্যাপ ব্যবহার করতে পারে। যখন কনসেপ্ট ম্যাপ পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়, তখন শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের একটি শব্দ বা বাক্যাংশের তালিকা দিতে পারেন এবং শিক্ষার্থীদের নির্দেশ দেন এগুলোর মধ্যে সংযোগ কনসেপ্ট ম্যাপের আকারে চিত্রিত করতে। প্রশ্ন করা একটি সহজ এবং আকর্ষণীয় উপায় হতে পারে সমালোচনামূলক চিন্তার বিকাশের জন্য। শিক্ষকরা উপকরণ নিয়ে শিক্ষার্থীদের প্রশ্ন করে শুরু করতে পারেন এবং তারপর শিক্ষার্থীদের নিজেদের প্রশ্ন তৈরি করতে উৎসাহিত করতে পারেন। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষায়, শিক্ষার্থীরা কোনো উৎসের বিশ্বাসযোগ্যতা যাচাইয়ের জন্য প্রশ্ন ব্যবহার করতে পারে। প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যায়ে, প্রশ্ন ব্যবহার করা যেতে পারে শিক্ষার্থীদের উপকরণ বোঝার ক্ষমতা মূল্যায়নে, এবং একই সঙ্গে তাদের সমালোচনামূলক চিন্তায় উৎসাহিত করতে, যেমন গল্পের চরিত্রদের কার্যকলাপ নিয়ে প্রশ্ন তোলা বা কোনো পরীক্ষার গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে চিন্তা করা। ‘অ্যাপিল-কোয়েশ্চেন স্টিমুলি’। এর প্রবর্তক স্বোবোডোভা, এই পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীরা তাদের পড়া বোঝাপড়া সম্পর্কে প্রশ্ন তোলে <ref name=":172" />।
=== আলোচনা ===
শিক্ষার্থীদের সমালোচনামূলক চিন্তন দক্ষতা বিকাশে আলোচনা একটি বিশেষভাবে কার্যকর কৌশল হতে পারে শিক্ষকদের জন্য। সহপাঠীদের সঙ্গে মিথস্ক্রিয়া কিছু নির্দিষ্ট সমালোচনামূলক চিন্তন দক্ষতা গঠনের ভিত্তি তৈরি করে, যেমন ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ এবং সহযোগিতা। এটি হয়তো সরাসরি শেখানোর মাধ্যমে সহজে শেখানো যায় না। আলোচনার একটি বড় অংশ অবশ্যই ভাষা। ক্লুস্টার (২০০২) বলেছেন, সমালোচনামূলক চিন্তা শুরু হয় প্রশ্ন তোলার মাধ্যমে <ref name=":172" />। অনুরূপভাবে, ভিগোৎসকি উল্লেখ করেছেন যে ভাষাগত দক্ষতা উচ্চস্তরের চিন্তাধারার জন্য অপরিহার্য পূর্বশর্ত হতে পারে <ref name=":162" />। যখন শিশুদের শব্দভাণ্ডার বড় হয়, তখন তারা পাঠ্যবস্তুকে আরও ভালোভাবে বুঝতে পারে এবং তারপরে সে উপকরণ নিয়ে বিমূর্তভাবে চিন্তা করতে পারে এবং সহপাঠীদের সঙ্গে তা নিয়ে চিন্তাশীল আলোচনা করতে পারে <ref name=":162" />।
গবেষণায় দেখা গেছে যে, বিভিন্ন বয়সের সহপাঠীদের মধ্যে আলোচনা সমালোচনামূলক চিন্তার বিকাশে বিশেষভাবে সহায়ক হতে পারে। এই ধরনের গ্রুপগুলো কার্যকর হতে পারে কারণ শিশুদের মধ্যে বিভিন্ন বয়সের সহপাঠীদের সঙ্গে কাজ করার সময় সাধারণত বেশি অনুপ্রেরণা দেখা যায় <ref name=":162" />। ছোটরা বড়দের একজন মেন্টর এবং জ্ঞানের উৎস হিসেবে দেখে, আর বড়রা একটি পরিপক্বতা এবং দায়িত্ববোধ অনুভব করে তাদের জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা ছোটদের সঙ্গে ভাগাভাগি করার <ref name=":162" />। এই ধরনের আলোচনায় শিক্ষার্থীরা এমন ভাষা ব্যবহার করার চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয় যা অন্যদের বোধগম্য হয় <ref name=":162" />। একটি প্রচলিত উদাহরণ হলো কানাডীয় বিদ্যালয়গুলোর “বড় বন্ধু” প্রোগ্রাম। এখানে উচ্চ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নিম্ন শ্রেণির একজন শিক্ষার্থীকে বছরের জন্য সহায়তা করার জন্য নিযুক্ত করা হয়। বড় বন্ধুরা ছোট বন্ধুদের প্রকল্প, পরামর্শ বা স্কুল ইভেন্টে সাহায্য করতে পারে। এই প্রোগ্রামগুলো কার্যকর কারণ ছোটরা তাদের বড় বন্ধুদের অনুসরণ করে এবং বড়রা তাদের ছোটদের সহায়তা করতে একটি দায়িত্ববোধ অনুভব করে। হ্যাটি (২০০৬) বলেছেন, এই আলোচনা অবশ্যই একজন শিক্ষকের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত অত্যন্ত সংগঠিত কার্যক্রম হওয়া উচিত। এটিতে শিক্ষার্থীরা তাদের দায়িত্ব সম্পর্কে স্পষ্ট থাকে <ref name=":162" />।
==== শ্রেণিকক্ষের পরিবেশ ====
একটি শ্রেণিকক্ষ যেখানে শিক্ষার্থীরা প্রশ্ন করতে এবং তাদের ধারণা ভাগ করতে নিরাপদ বোধ করে, তা সমালোচনামূলক চিন্তাকে উৎসাহিত করার জন্য অত্যন্ত মূল্যবান। গবেষণায় দেখা গেছে, যখন শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষের সংগঠন ও কার্যক্রম পরিকল্পনায় অংশগ্রহণ করতে পারে, তখন তারা সমালোচনামূলক চিন্তার প্রতি বেশি ঝোঁক দেখায় <ref name=":143" />। এমন শ্রেণিকক্ষে শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষের কার্যপদ্ধতি নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় সক্রিয়ভাবে অন্তর্ভুক্ত করতে উৎসাহিত করেন <ref name=":143" />। একই সঙ্গে, শিক্ষকদের উচিত কাঙ্ক্ষিত ধরণের সমালোচনামূলক চিন্তন নিজেরাই প্রদর্শন করা, যেমন নিজের সিদ্ধান্ত বা কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত নিয়ে সম্মানজনক ও যথাযথভাবে প্রশ্ন তোলা <ref name=":143" />। গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব শ্রেণিকক্ষে শিক্ষকরা উৎসাহী এবং প্রতিক্রিয়াশীল, সেখানে শিক্ষার্থীদের জ্ঞানগত সম্পৃক্ততা তুলনামূলকভাবে বেশি <ref>Garcia, T., & Pintrich, P. R. (1992). Critical Thinking and Its Relationship to Motivation, Learning Strategies, and Classroom Experience. 2-30.</ref>। তাই, শিক্ষকদের উচিত উৎসাহব্যঞ্জক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক হওয়া এবং সম্ভব হলে শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষ পরিকল্পনায় অংশগ্রহণ করতে দেওয়া।
=== সমালোচনামূলক প্রশ্ন ===
গবেষণা ক্রমেই সমর্থন করছে যে সমালোচনামূলক চিন্তা সরাসরি শেখানো সম্ভব <ref name=":7">Halpern, D. F. (2013). Thought and Knowledge: An Introduction to Critical Thinking. Psychology Press.</ref>। শিক্ষায় সমালোচনামূলক প্রশ্নের ব্যবহার বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এই প্রশ্নগুলো শেখানোর মাধ্যমে শিক্ষকরা সমালোচনামূলক চিন্তার প্রক্রিয়া দৃশ্যমানভাবে মডেল করেন। শিক্ষায় সমালোচনামূলক চিন্তা শেখানোর অন্যতম সমস্যা হলো শিক্ষার্থীরা কেবল শিক্ষকের সিদ্ধান্ত দেখে, অর্থাৎ তারা দেখতে পায় না যে কীভাবে শিক্ষক এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন <ref name=":182" />। একজন অভিজ্ঞ চিন্তাবিদ অবশ্য প্রশ্ন করে, কিন্তু এই প্রশ্নগুলো সাধারণত মুখে উচ্চারণ করা হয় না। কিন্তু শিক্ষার্থীরা যদি সমালোচনামূলক প্রশ্ন ও চিন্তার কৌশল শিখতে চায়, তাহলে তাদের সেই চিন্তার প্রক্রিয়া দেখতে হবে। প্রশ্ন তৈরির ও তার ধারাবাহিকতা দেখিয়ে চিন্তার ধারাটি বোঝানো সম্ভব।
সমালোচনামূলক প্রশ্ন শেখানোর বিভিন্ন পদ্ধতি আছে। নিচে আলোচিত কাঠামোগুলো সবচেয়ে সুপরিচিত। প্রতিটি কাঠামোর নিজস্ব শক্তি ও দুর্বলতা রয়েছে ব্যবহারযোগ্যতা, জটিলতা এবং সার্বজনীনতার দিক থেকে। প্রতিটি পদ্ধতি সমালোচনামূলক চিন্তাকে আলাদা সংজ্ঞায় সংজ্ঞায়িত করে। ফলে একজন ব্যক্তির সমালোচনামূলক চিন্তার সংজ্ঞা তার নির্দিষ্ট কাঠামোর প্রতি গ্রহণযোগ্যতাকে প্রভাবিত করতে পারে।
[[চিত্র:Sócrates.jpeg|alt= Socrates|থাম্ব|Socrates]]
==== সক্রেটীয় পদ্ধতি ====
পশ্চিমা দৃষ্টিভঙ্গিতে সমালোচনামূলক চিন্তার একটি মূল বৈশিষ্ট্য হলো সমালোচনামূলক প্রশ্নের গুরুত্ব। এটি প্রাচীন গ্রিক সক্রেটীয় পদ্ধতির সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হোক বা নতুন প্রশ্ন তৈরি করা হোক—সমালোচনামূলক চিন্তা সব সময় প্রশ্নের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত, তা স্পষ্ট বা অদৃশ্য, সচেতন বা অসচেতন <ref name=":62" />। ব্রাউন ও কিলি (২০০৬) তাদের সমালোচনামূলক চিন্তার সংজ্ঞা সম্পূর্ণরূপে প্রশ্নের অন্তর্ভুক্তির উপর ভিত্তি করে গড়ে তুলেছেন <ref>Browne, M. N., & Keeley, S. M. (2006). Asking the Right Questions: A Guide to Critical Thinking (8th ed.). Upper Saddle River, N.J: Prentice Hall.</ref>।
সমালোচনামূলক প্রশ্নের উত্তর সব সময় পরীক্ষণযোগ্য নয়। এগুলো যুক্তিপূর্ণ হতে পারে, কিন্তু তারপরও বিকল্প মতামতের অধীন, ফলে সব মতই একযোগে ব্যক্তিগত ও বাস্তবিক হতে পারে। এল্ডার ও পল (২০০৯) এই প্রশ্নগুলোকে তিনটি শ্রেণিতে ভাগ করেছেন <ref name=":52" />:
# এমন প্রশ্ন যেগুলোর সঠিক উত্তর আছে এবং তা জ্ঞান দিয়ে নির্ধারণ করা যায়
# এমন প্রশ্ন যেগুলোর উত্তর ব্যক্তিনির্ভর এবং বিচার করা যায় না
# এমন প্রশ্ন যেগুলো যৌক্তিক এবং প্রমাণভিত্তিক যুক্তি দিয়ে বিচার করা যায়
সমালোচনামূলক প্রশ্ন সম্পর্কিত বইগুলো মূলত সক্রেটীয় পদ্ধতিতে প্রভাবিত এবং ‘ভালো’ ও ‘খারাপ’ প্রশ্নের মধ্যে পার্থক্য করে। ভালো প্রশ্ন হলো যেগুলো প্রাসঙ্গিক এবং যুক্তিনিষ্ঠ, আর খারাপ প্রশ্ন হলো অপ্রাসঙ্গিক, অগভীর এবং এলোমেলোভাবে সাজানো <ref name=":33" /><ref name=":62" />। এল্ডার ও পল (২০০৯) বলেন, “একজন ভালো চিন্তাবিদ এবং খারাপ প্রশ্নকারী একই ব্যক্তি হতে পারে না।”<ref>Elder, L., & Paul, R. (2009). The Art of Asking Essential Questions (5th Edition). Dillon Beach, CA: Foundation for Critical Thinking. p. 3.</ref> অর্থাৎ, কেউ যদি প্রাসঙ্গিক ও যৌক্তিক প্রশ্ন তৈরি করতে না পারে, তবে সে যুক্তিসংগত সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারবে না।
উপরন্তু, শুধুমাত্র সঠিক প্রশ্ন করাই যথেষ্ট নয়। সমালোচনামূলক চিন্তার সঙ্গে জ্ঞানের একটি সরাসরি সম্পর্ক আছে <ref name=":7" />। কেউ হয়তো জ্ঞান রাখে, কিন্তু তা প্রয়োগ করতে জানে না। আবার কেউ প্রশ্ন করতে দক্ষ, কিন্তু সেই উত্তরের গুণমান বিচার করার জন্য প্রয়োজনীয় জ্ঞান নেই।
সক্রেটীয় পদ্ধতিতে সমালোচনামূলক প্রশ্ন শেখানোর ক্ষেত্রে বোঝা গুরুত্বপূর্ণ যে, এখানে কোনো নির্দিষ্ট প্রশ্নের সেট নেই, কারণ প্রয়োজনীয় প্রশ্নগুলো নির্ভর করে প্রাসঙ্গিক প্রেক্ষাপটের উপর। তাই বিভিন্ন লেখক যেসব উদাহরণ দেন, তা একে অপরের থেকে যথেষ্ট আলাদা। তবু কিছু সাধারণ নির্দেশনা অনুসরণ করা যায় <ref>Micarelli, A., Stamper, J., & Panourgia, K. (2016). Intelligent Tutoring Systems: 13th International Conference, ITS 2016, Zagreb, Croatia, June 7-10, 2016. Proceedings. Springer.</ref>:
# পরিস্থিতি, বিষয়বস্তু, মতামত এবং সিদ্ধান্ত চিহ্নিত করতে ও বুঝতে প্রশ্ন ব্যবহার করা
# অনুমান, অস্পষ্টতা, দ্বন্দ্ব, বা বিভ্রান্তি খুঁজে বের করতে প্রশ্ন করা
# ধারণাগুলোর প্রভাব মূল্যায়নে প্রশ্ন ব্যবহার করা
সক্রেটীয় পদ্ধতির প্রথম অংশ হলো তথ্য সংগ্রহ। এখানে প্রশ্ন করে গুরুত্বপূর্ণ বিশদ জানা যায়, ধারণা স্পষ্ট হয়, এবং উদ্দেশ্য নির্ধারণ করা যায়। দ্বিতীয় অংশে প্রথম অংশের তথ্য ব্যবহার করে ধারণার যথার্থতা যাচাইয়ের জন্য গভীর বিশ্লেষণ করা হয়। তৃতীয় অংশে প্রশ্নের মাধ্যমে ধারণাগুলোর ফলাফল নিয়ে চিন্তা করা হয়।
কনকলিন (২০১২) এই তিন অংশকে ছয় ভাগে ভাগ করেছেন <ref name=":8">Conklin, W., & Teacher Created Materials. (2012). Strategies for Developing Higher-Order Thinking Skills, Grades 6 - 12. Shell Education.</ref>:
# বোঝার জন্য প্রশ্ন করা
# অনুমান নির্ধারণের জন্য প্রশ্ন করা
# কারণ / প্রমাণ খুঁজে বের করার জন্য প্রশ্ন করা
# দৃষ্টিভঙ্গি নির্ধারণের জন্য প্রশ্ন করা
# ফলাফল নির্ধারণে প্রশ্ন করা
# প্রদত্ত প্রশ্নটির মূল্যায়নে প্রশ্ন করা
প্রতিটি অংশের জন্য কিছু নমুনা প্রশ্ন এখানে দেওয়া হলো:<ref><nowiki>http://www.janinesmusicroom.com/socratic-questioning-part-i-the-framework.html</nowiki></ref>
বোঝার জন্য প্রশ্নসমূহ:
* আপনি তা কেন ভাবছেন?
* আপনি এই বিষয়ে এতদূর কী পড়েছেন?
* এটি আপনি এখন যা পড়ছেন তার সাথে কীভাবে সম্পর্কিত?
ধারণা নির্ধারণকারী প্রশ্নসমূহ:
* আপনি কীভাবে এই ধারণাটি যাচাই করতে পারেন?
* আর কী ধরা যেতে পারে?
* এ বিষয়ে আপনার মত কী? আপনি কি একমত, না কি অসম্মত?
কারণ / প্রমাণ আবিষ্কারের প্রশ্নসমূহ:
* আপনি কীভাবে নিশ্চিত হতে পারেন?
* এটা কেন ঘটছে?
* আপনার মতকে সমর্থন করার জন্য আপনার কাছে কী প্রমাণ আছে?
দৃষ্টিভঙ্গি নির্ধারণকারী প্রশ্নসমূহ:
* আপনি এই যুক্তিটিকে আরেকভাবে কীভাবে দেখতে পারেন?
* কোন দৃষ্টিভঙ্গিটি ভালো?
পরিণতি নির্ধারণকারী প্রশ্নসমূহ:
* এটি আপনার উপর কী প্রভাব ফেলে?
* এর কী প্রভাব রয়েছে?
কোন প্রশ্ন মূল্যায়নের জন্য প্রশ্নসমূহ:
* আমাকে এই প্রশ্নটি কেন জিজ্ঞাসা করা হয়েছে?
* কোন প্রশ্নগুলো সবচেয়ে আকর্ষণীয় উত্তর দিয়েছে?
* আর কী প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা উচিত?
লেখার ওপর নির্ভর করে, সক্রেটিক পদ্ধতি অত্যন্ত জটিল হতে পারে। এটি শিক্ষকদের জন্য এটি প্রয়োগ করাকে চ্যালেঞ্জিং করে তোলে। কনক্লিন (২০১২) বলেন যে একজন শিক্ষককে এই ধরনের প্রশ্ন আগেই পরিকল্পনা করতে হবে, পাঠ চলাকালীন তাৎক্ষণিকভাবে তৈরি করার উপর নির্ভর না করে <ref name=":82" />।
[[চিত্র:Blooms_rose.svg|alt= Bloom's Taxonomy|থাম্ব|Bloom's Taxonomy]]
==== ব্লুম’স ট্যাক্সোনমি ====
ব্লুম’স ট্যাক্সোনমি প্রথম তৈরি হয় ১৯৫৬ সালে, শিক্ষার্থীদের উচ্চস্তরের চিন্তাভাবনা মূল্যায়নের জন্য এবং জ্ঞানমূলক শিক্ষাগত লক্ষ্য নির্ধারণের উদ্দেশ্যে <ref>Bloom, B. S., Krathwohl, D. R., & Masia, B. B. (1984). Taxonomy of educational objectives: the classification of educational goals. Longman.</ref>। পরবর্তীতে এটি রূপান্তরিত হয়ে সমালোচনামূলক চিন্তনর দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য একটি কার্যকরী সরঞ্জাম হয়ে ওঠে, বিশেষ করে সমালোচনামূলক প্রশ্নের মাধ্যমে <ref>Blosser, P. E. (1991). How to Ask the Right Questions. NSTA Press.</ref>। এই সমালোচনামূলক প্রশ্নগুলো ব্লুম’স শ্রেণিবিন্যাসের বোঝা, প্রয়োগ, বিশ্লেষণ, সংকলন এবং মূল্যায়ন পর্যায়ের সাথে সম্পর্কিত। এই শ্রেণিগুলো সক্রেটিক পদ্ধতির সাথে মিল খুঁজে পাওয়া যায়, যেমন বোঝা, বিশ্লেষণ এবং মূল্যায়নের জন্য প্রশ্ন করার গুরুত্ব। মুন (২০০৭) মনে করেন যে “মূল্যায়ন”, “প্রতিফলন” এবং “বোঝা” সমালোচনামূলক চিন্তনর মূল উপাদান <ref name=":03" />। এটি সমালোচনামূলক চিন্তার ধারণায় অবশ্যই অন্তর্ভুক্ত হওয়া উচিত। একই সময়ে, ব্লুম’স ট্যাক্সোনমি একটি স্বাভাবিক প্রশ্নমালা তৈরি করে যা বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে মানিয়ে নেওয়া যায় <ref>Wang, J.-F., & Lau, R. (2013). Advances in Web-Based Learning -- ICWL 2013: 12th International Conference, Kenting, Taiwan, October 6-9, 2013, Proceedings. Springer.</ref>।
একটি উদাহরণ হিসেবে, একজন শিক্ষক নিউইয়র্কের একটি স্পিকইজি বারের ছবি ব্যবহার করেন। ব্লুম’স ট্যাক্সোনমি ব্যবহার করে শিক্ষক নিম্নলিখিত সমালোচনামূলক প্রশ্নগুলো করতে পারেন এবং তার মডেল দিতে পারেন <ref name=":34" />:
# জ্ঞান: আপনি ছবিতে কী দেখছেন?
# অনুধাবন: এই ধরনের জায়গায় মানুষ কী করে?
# বিশ্লেষণ: ছবিতে এত পুলিশ কেন আছে?
# প্রয়োগ: বর্তমানে আমরা এ ধরনের কোন পরিস্থিতি দেখতে পাই?
# সংকলন: যদি এমন আচরণ নিষিদ্ধকারী কোনো আইন না থাকতো?
# মূল্যায়ন: আপনি যদি এই লোকগুলোর একজন হতেন, তাহলে কেমন অনুভব করতেন? কেন?
[[চিত্র:Depth_of_Knowledge.png|alt=Norman Webb's Depth of Knowledge|থাম্ব|Norman Webb's Depth of Knowledge]]
==== নরম্যান ওয়েবের জ্ঞানের গভীরতা (ডিওকে) ====
ওয়েবের জ্ঞানের গভীরতা (ডিওকে) ট্যাক্সোনমি তৈরি হয় ২০০২ সালে ব্লুম’স ট্যাক্সোনমির প্রতিক্রিয়া হিসেবে <ref name=":9">Gregory, G., & Kaufeldt, M. (2015). The Motivated Brain: Improving Student Attention, Engagement, and Perseverance. ASCD.</ref>। ব্লুম’স ট্যাক্সোনমির সাথে বিপরীতে, ওয়েবের ডিওকে চিন্তাভাবনাকে মূল্যায়ন করে তার জটিলতার দিক থেকে, কেবলমাত্র কষ্টসাধ্যতার ভিত্তিতে নয় <ref name=":9" />।
ওয়েবের ডিওকের চারটি স্তর:
# স্মরণ ও পুনরুৎপাদন
# দক্ষতা ও ধারণার সাথে কাজ করা
# স্বল্পমেয়াদী কৌশলগত চিন্তাভাবনা
# বিস্তৃত কৌশলগত চিন্তাভাবনা
স্তর ১ ব্লুম’স ট্যাক্সোনমির তথ্য মনে রাখা এবং পুনরায় স্মরণ করার স্তরের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ। এই স্তরের সমালোচনামূলক প্রশ্ন হতে পারে:
* মূল চরিত্রের নাম কী?
* অলিভার টুইস্ট ফ্যাজিনকে কী জিজ্ঞাসা করেছিল?
স্তর ২-এ বিভিন্ন দক্ষতা অন্তর্ভুক্ত যেমন শ্রেণিবিন্যাস, তুলনা, পূর্বাভাস, তথ্য সংগ্রহ ও উপস্থাপন। এসব দক্ষতা থেকে নিচের প্রশ্নগুলো আসতে পারে:
* এই দুটি ধারণার মধ্যে কী মিল-অমিল?
* আপনি কীভাবে এই বস্তুগুলো শ্রেণিবিন্যাস করবেন?
* আপনি কীভাবে এই পাঠের সারাংশ তৈরি করবেন?
স্তর ৩ বিশ্লেষণ ও মূল্যায়নের সাথে সম্পর্কিত। এটি আবার ব্লুম’স ট্যাক্সোনমির সাথে মিলে যায়।
* আপনি কী সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেন?
* এটি ব্যাখ্যা করতে আপনি কী তত্ত্ব দাঁড় করাতে পারেন?
* সবচেয়ে ভালো উত্তর কোনটি? কেন?
একই সময়ে, ডিওকের স্তর ৩ সক্রেটিক পদ্ধতির সাথে মিল খুঁজে পায় কারণ এখানে ব্যক্তিকে নিজের মত পক্ষে যুক্তি ও প্রমাণ দিয়ে কথা বলতে হয়।
স্তর ৪ হলো সবচেয়ে জটিল এবং চ্যালেঞ্জিং। এটি আন্তঃবিষয়ক সংযোগ তৈরি করা এবং নতুন ধারণা / সমাধান তৈরি করার উপর জোর দেয়।
যেহেতু ডিওকে প্রতিটি স্তরে আরও জটিল হয়ে ওঠে এবং যুক্তি ও প্রমাণ ব্যবহার করে নিজ অবস্থান সমর্থনের প্রয়োজন পড়ে, এটি সক্রেটিক পদ্ধতির সাথে সাদৃশ্য তৈরি করে। একই সাথে, যেহেতু এটি সমালোচনামূলক চিন্তা মূল্যায়নের মান নির্ধারণে ব্যবহৃত হয়, এটি ব্লুম’স ট্যাক্সোনমির সাথে সাদৃশ্যযুক্ত।
==== উইলিয়ামস মডেল ====
[[চিত্র:KWL_Chart.jpg|alt= The KWL method shares some similarities to the 'wonder' aspect of the Williams Model|থাম্ব|The KWL method shares some similarities to the 'wonder' aspeসমালোচনামূলক চিন্তা of the Williams Model]]
উইলিয়ামস মডেলটি ফ্র্যাঙ্ক উইলিয়ামস ১৯৭০-এর দশকে তৈরি করেন <ref name=":82" />। অন্যান্য পদ্ধতির বিপরীতে, উইলিয়ামস মডেল তৈরি করা হয়েছিল সৃজনশীল চিন্তাভাবনা উৎসাহিত করার জন্য সমালোচনামূলক প্রশ্ন ব্যবহার করে <ref name=":82" />। এই মডেল নিম্নলিখিত উপাদানগুলো নিয়ে গঠিত:
* সাবলীলতা
* নমনীয়তা
* বিস্তারিততা
* মৌলিকতা
* কৌতূহল
* ঝুঁকি নেওয়া
* জটিলতা
* কল্পনাশক্তি
সাবলীলতা সংক্রান্ত সমালোচনামূলক প্রশ্নগুলো এক ধরনের ব্রেইনস্টর্মিং এর মতো। এখানে প্রশ্নগুলো ধারণা ও বিকল্প উত্পন্ন করার জন্য তৈরি করা হয় <ref name=":82" />। ‘নমনীয়তা’র প্রশ্ন বিদ্যমান ধারণার বিভিন্ন রূপ উত্পন্ন করে। ‘বিস্তার’ প্রশ্ন বিদ্যমান ধারণার উপর নির্মাণ করে এবং বিস্তারিততা বাড়ায়। ‘মৌলিকতা’ প্রশ্ন নতুন ধারণা তৈরির দিকে পরিচালিত করে। কৌতূহল সম্পর্কিত অংশ KWL পদ্ধতির ‘Wonder’ ধাপের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ <ref>Carol, K., & Sandi, Z. (2014). Q Tasks, 2nd Edition: How to empower students to ask questions and care about answers. Pembroke Publishers Limited.</ref>। ‘ঝুঁকি নেওয়া’ প্রশ্ন পরীক্ষামূলক চিন্তা উসকে দেয়। যদিও ‘জটিলতা’ শব্দটি ‘বিস্তার’-এর মতো শোনায়, এটি বিশৃঙ্খলার মধ্যে থেকে ক্রম বের করা, সংযোগ তৈরি করা, এবং তথ্যের ঘাটতি পূরণের বিষয়ে। সর্বশেষ উপাদান হলো ‘কল্পনা’। এটি প্রশ্ন ব্যবহার করে কল্পনাশক্তির মাধ্যমে ভাবতে সহায়তা করে।
[[চিত্র:Wiggins_&_McTighe’s_Six_Facets_of_Understanding_.png|alt=Wiggins & McTighe’s Six Facets of Understanding|থাম্ব|উইগিন্স এবং ম্যাকটাইগের বোঝাপড়ার ছয়টি দিক]]
==== উইগিন্স ও ম্যাকটাই-এর ছয়টি অনুধাবন দিক ====
উইগিন্স ও ম্যাকটাই-এর ‘ছয়টি অনুধাবনের দিক’ সমালোচনামূলক চিন্তার গভীর অনুধাবনের উপর ভিত্তি করে তৈরি <ref name=":10">Doubet, K. J., & Hockett, J. A. (2015). Differentiation in Middle and High School: Strategies to Engage All Learners. ASCD.</ref>। এই পদ্ধতি শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের জন্য প্রশ্ন তৈরি করতে ব্যবহার করেন। এটি সমালোচনামূলক চিন্তনকে উৎসাহ দেয় <ref name=":10" />। এই ছয়টি দিক হলো: ব্যাখ্যা, ব্যাখ্যাত্মকতা, প্রয়োগ, দৃষ্টিভঙ্গি, সহানুভূতি এবং আত্ম-জ্ঞান <ref name=":11"><nowiki>http://www.educ.kent.edu/fundedprojects/tspt/units/sixfacets.htm</nowiki></ref>।
‘ব্যাখ্যা’ দিকটিতে ‘কেন’ এবং ‘কীভাবে’ প্রশ্নগুলো আধিপত্য করে। এটি তত্ত্ব এবং যুক্তি তৈরি করতে সহায়ক <ref name=":12">McTighe, J., & Wiggins, G. (2013). Essential Questions: Opening Doors to Student Understanding (1st ed.). Alexandria, Va. USA: Association for Supervision & Curriculum Development.</ref>:
* এটা কীভাবে ঘটল? আপনি কেন তাই মনে করেন?
* এটি অন্য তত্ত্বের সাথে কীভাবে সংযুক্ত?
ব্যাখ্যাত্মক প্রশ্নগুলো ‘পাঠের ভিতরে’ পড়া, উপমা বা রূপক তৈরি করা এবং ধারণাকে ব্যাখ্যা করার জন্য লিখিত বা চিত্রিত পরিস্থিতি তৈরি করতে সাহায্য করে। উদাহরণস্বরূপ:
* আপনি কীভাবে এই ধারণাটি অন্যভাবে ব্যাখ্যা করবেন?
* আপনি কেন মনে করেন যে উভয় পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব আছে?
* এটি জানা কেন গুরুত্বপূর্ণ?
প্রয়োগ সম্পর্কিত প্রশ্নগুলো জ্ঞান প্রয়োগ করার বিষয়ে। এর একটি অংশ পূর্বানুমান নির্ভর করে পূর্ব অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে এবং আরেকটি অংশ অতীত থেকে শেখার বিষয়।
* আমরা কীভাবে এটি আবার ঘটতে দেওয়া থেকে বিরত থাকতে পারি?
* আপনি কী মনে করেন পরবর্তীতে কী হবে?
* এটি কীভাবে কাজ করে?
দৃষ্টিভঙ্গি প্রশ্নগুলো অন্যের দৃষ্টিভঙ্গি বোঝা এবং তাদের দৃষ্টিভঙ্গির বিশ্লেষণ ও সমালোচনার দিকে মনোনিবেশ করে <ref name=":11" />। উদাহরণস্বরূপ:
* এই বিষয়ে বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি কী কী?
* কবিতায় কে কথা বলছে?
* কার দৃষ্টিভঙ্গি এখানে প্রকাশিত হয়েছে?
* অন্য একজনের দৃষ্টিতে এটি কীভাবে দেখাত?
সহানুভূতিমূলক প্রশ্নগুলো অন্যের অবস্থান অনুধাবনের মাধ্যমে মনের উন্মুক্ততা তৈরি করে, যেন অন্যের জায়গায় নিজেকে কল্পনা করা যায়।
* আপনি যদি একই অবস্থায় থাকতেন, তাহলে কেমন অনুভব করতেন?
* ঐ পরিস্থিতিতে বাস করলে কেমন হতো?
* কেউ যদি আপনার পরিবারের সাথে এটা করত, আপনি কীভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাতেন?
আত্ম-জ্ঞানভিত্তিক প্রশ্নগুলো আত্ম-অনুধাবনের দিকে পরিচালিত করে এবং নিজের পক্ষপাত, মূল্যবোধ এবং পূর্বাগ্রহগুলো চিনতে সাহায্য করে যা অন্যদের বিচার করার সময় প্রভাব ফেলে <ref name=":11" />। উদাহরণস্বরূপ:
* আমার জীবন এই বিষয়ে আমার দৃষ্টিভঙ্গিকে কীভাবে গঠন করেছে?
* আমি আসলে ঐ সম্প্রদায়ের মানুষের জীবনের সম্পর্কে কী জানি?
* আমি কী জ্ঞান বা অভিজ্ঞতার ঘাটতি অনুভব করি?
* আমি যেটা জানি, তা কোথা থেকে এল? সেই তথ্য বা ধারণার উৎস কী?
‘ছয়টি অনুধাবন দিক’-এর মধ্যে থাকা সমস্ত প্রশ্নের বৈশিষ্ট্য নিম্নরূপ <ref name=":12" />:
# সেগুলো উন্মুক্ত
# গভীর চিন্তার প্রয়োজন
# সমালোচনামূলক চিন্তন জরুরি
# জ্ঞান হস্তান্তরকে উৎসাহ দেয়
# এগুলো অনুস্মারক প্রশ্ন তৈরি করে
# এর উত্তর প্রমাণ সহ প্রতিষ্ঠিত হতে হয়
একটি শ্রেণিকক্ষ পরিবেশে সমালোচনামূলক প্রশ্ন প্রয়োগের উদাহরণ দেখতে চাইলে, এই পাতার নিচের বহিঃসংযোগ অংশে দেখুন।
= সমস্যা সমাধান =
প্রতিদিনের জীবনে আমরা নানা সমস্যায় ঘেরা থাকি, যেগুলোর সমাধান আমাদের লক্ষ্য পূরণে গুরুত্বপূর্ণ এবং আমাদের মনোযোগ দাবি করে <ref name=":20">Bruning, G.J. Schraw & M.M. Norby (2011) Cognitive Psychology and Instruction (5th Ed). New York: Pearson.</ref>। আমরা এমন সমস্যার মুখোমুখি হতে পারি যেমন: কর্মস্থলে পৌঁছানোর জন্য সেরা রুট নির্ধারণ করা, ইন্টারভিউয়ের জন্য কী পরা উচিত, একটি যুক্তিভিত্তিক প্রবন্ধে ভালো করা, অথবা একটি দ্বিঘাত সমীকরণের সমাধান খুঁজে বের করা। একটি পরিস্থিতিকে সমস্যা হিসেবে বিবেচনা করা হয় যখন সেই সমস্যার সমাধান চাওয়া হয়, কিন্তু সমাধানটি সমাধানকারী ব্যক্তির কাছে স্পষ্ট নয় <ref>Anderson, J. R. Cognitive Psychology and Its Implications. New York: Freeman, 1980</ref>। '''<u>সমস্যা সমাধান</u>''' হচ্ছে এই সমস্যাগুলোর সমাধান খুঁজে বের করার প্রক্রিয়া <ref name=":21">Mayer, R. E., & Wittrock, R. C. (2006). Problem solving. In P. A. Alexander & P. H. Winne (Eds.), Handbook of educational psychology (2nd ed., pp. 287–304). Mahwah, NJ: Erlbaum.</ref>। '''''যদিও এরা সম্পর্কিত, সমালোচনামূলক চিন্তন মূলত সমস্যা সমাধানের চেয়ে আলাদা। সমালোচনামূলক চিন্তা একটি প্রক্রিয়া যা সমস্যা সমাধানে প্রয়োগ করা যেতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, শিক্ষার্থীরা এমন অনির্দিষ্ট সমস্যার মুখোমুখি হলে সমালোচনামূলক চিন্তায় জড়িয়ে পড়তে পারে যেখানে অনেক বিকল্প বা সম্ভাব্য উত্তর বিবেচনা করতে হয়। মূলত। এরা সমালোচনামূলকভাবে চিন্তা করতে সক্ষম, তারা কার্যকরভাবে সমস্যা সমাধান করতে সক্ষম <ref>Snyder, M. J., & Snyder, L. G. (2008). Teaching critical thinking and Problem solving skills. Delta Pi Epsilon Journal, L(2), 90-99.</ref>।'''''
[[চিত্র:T_vs_PBL.png|থাম্ব|সমস্যাভিত্তিক শেখা ঐতিহ্যবাহী ধারার চেয়ে আলাদা, কারণ এটি শিক্ষার্থীদের একটি প্রশ্নের সমাধানের দিকে মনোনিবেশ করতে সহায়তা করে।]]
এই অধ্যায়ে প্রথমে ''[[চিন্তন ও নির্দেশনা/সমস্যা সমাধান, সমালোচনামূলক চিন্তন ও যুক্তি#glos Well-defined Problems|সুস্পষ্ট সমস্যা]]'' এবং ''[[চিন্তন ও নির্দেশনা/সমস্যা সমাধান, সমালোচনামূলক চিন্তন ও যুক্তি#glos Ill-defined Problems|অনির্দিষ্ট সমস্যা]]'' এর মধ্যে পার্থক্য করা হবে, এরপর সমস্যাগুলোর ধারণা তৈরি ও চিত্রায়নের ব্যবহার আলোচনা করা হবে এবং শেষে মানসিক স্থবিরতা কীভাবে সফল সমস্যা সমাধানে বাধা হতে পারে তা ব্যাখ্যা করা হবে।
=== সুস্পষ্ট ও অনির্দিষ্ট সমস্যা ===
সমস্যাগুলোকে সাধারণত দুটি ধরনের মধ্যে ভাগ করা যায়: অনির্দিষ্ট অথবা সুস্পষ্ট <ref name=":20" />। একটি সুস্পষ্ট সমস্যার উদাহরণ হতে পারে একটি বীজগাণিতিক সমস্যা (যেমন: ২x - ২৯ = ৭)। এখানে x-এর মান বের করতে হবে। আরেকটি উদাহরণ হতে পারে একটি টার্কির ওজন কিলোগ্রাম থেকে পাউন্ডে রূপান্তর করা। উভয় ক্ষেত্রেই এটি সুস্পষ্ট সমস্যা হিসেবে বিবেচিত হয় কারণ এখানে একটি নির্দিষ্ট সমাধান রয়েছে এবং সেই সমাধান খুঁজে পাওয়ার একটি স্পষ্ট পদ্ধতি রয়েছে।
এর বিপরীতে, অনির্দিষ্ট সমস্যা হলো এমন সব সমস্যা যেগুলো আমরা দৈনন্দিন জীবনে মোকাবিলা করি। এখানে লক্ষ্য অস্পষ্ট এবং তথ্যগুলো সাংঘর্ষিক, অসম্পূর্ণ বা অনির্ণীত থাকে <ref name=":22">Voss, J. F. (1988). Problem solving and reasoning in ill-structured domains. In C. Antaki (Ed.), Analyzing everyday explanation: A casebook of methods (pp. 74-93). London: SAGE Publications.</ref>। অনির্দিষ্ট সমস্যার একটি উদাহরণ হতে পারে “জলবায়ু পরিবর্তনের সমাধান কীভাবে করা যায়?” অথবা “দারিদ্র্য নিরসনের উপায় কী হওয়া উচিত?” কারণ এই প্রশ্নগুলোর একক কোনো সঠিক উত্তর নেই। এই সমস্যাগুলোর বিভিন্ন সমাধানের সম্ভাবনা রয়েছে, কারণ এই সমস্যাগুলোর জন্য কোনো সর্বজনগ্রাহ্য কৌশল নেই। মানুষ এসব সমস্যার সমাধান ভিন্নভাবে করে থাকে, তাদের ধারণা, তত্ত্ব প্রয়োগ বা মূল্যবোধ অনুসারে<ref name=":31">Pretz, J. E., Naples, A. J., & Sternberg, R. J. (2003). Recognizing, defining, and representing problems. In J. E. Davidson and R. J. Sternberg (Eds.), The psychology of problem solving (pp. 3–30). Cambridge, UK: Cam- bridge University Press.</ref>। তদুপরি, প্রতিটি সমাধানের নিজস্ব শক্তি ও দুর্বলতা রয়েছে <ref name=":31" />।
{| border="1"
|+'''অনির্দিষ্ট বনাম সুস্পষ্ট সমস্যা'''
!অনির্দিষ্ট
!সুস্পষ্ট
|-
|বর্তমান অবস্থা স্পষ্ট নয়, লক্ষ্য অস্পষ্ট, অনুমোদিত পদ্ধতির সীমা অনির্দিষ্ট এবং একাধিক সমাধান থাকতে পারে <ref name=":22" />।
|বর্তমান অবস্থা স্পষ্ট, লক্ষ্য স্পষ্টভাবে নির্ধারিত, অনুমোদিত পদ্ধতি নির্দিষ্ট এবং একটি নির্দিষ্ট সমাধান রয়েছে <ref name=":22" />।
|-
|উদাহরণ: আমরা কীভাবে বৈশ্বিক উষ্ণায়নের সমাধান করব?
|উদাহরণ: ৫x = ১০
|-
|''[[চিন্তন ও নির্দেশনা/সমস্যা সমাধান, সমালোচনামূলক চিন্তন ও যুক্তি#glos Argumentation|যুক্তিতর্ক]]'', মনোভাব ও "মেটাকগনিশন" উচ্চ সমস্যা সমাধান স্কোরের পূর্বাভাস দেয় <ref name=":322">Shin, N., Jonassen, D. H., & McGee, S. (2003). Predictors of Well-Structured and Ill-Structured Problem Solving in an Astronomy Simulation. Journal Of Research In Science Teaching, 40(1), 6-33.8</ref>
|বিষয়ভিত্তিক জ্ঞান ও যৌক্তিকতা দক্ষতা সমস্যা সমাধানের স্কোরে প্রভাব ফেলে <ref name=":322" />।
|}
সারণি ১: সুস্পষ্ট এবং অনির্দিষ্ট সমস্যার পার্থক্য সংক্ষেপে উপস্থাপন করে।
==== অনির্দিষ্ট এবং সুস্পষ্ট সমস্যার সমাধানে পার্থক্য ====
প্রাথমিক পর্যায়ে, গবেষকরা মনে করতেন যে উভয় ধরনের সমস্যা একইভাবে সমাধান করা যায় <ref>Simon, D. P. (1978). Information processing theory of human problem solving. In W. K. Estes (Ed.), Handbook of learning and cognitive process. Hillsdale, NJ: Lawrence Erlbau</ref>, তবে আধুনিক গবেষণাগুলো এই সমাধান প্রক্রিয়ায় কিছু উল্লেখযোগ্য পার্থক্য তুলে ধরেছে।
কিচেনার (১৯৮৩) প্রস্তাব করেন যে সুস্পষ্ট সমস্যাগুলোতে '''[[চিন্তন ও নির্দেশনা/সমস্যা সমাধান, সমালোচনামূলক চিন্তন ও যুক্তি#glos Epistemological Beliefs|জ্ঞানতাত্ত্বিক বিশ্বাস]]''' সংক্রান্ত কোনো অনুমান থাকে না <ref name=":20" />, কারণ এদের একটি স্পষ্ট এবং নির্দিষ্ট সমাধান থাকে। এখানে অনির্দিষ্ট সমস্যাগুলোর জন্য এই ধরনের বিশ্বাস প্রয়োজন হয় কারণ তাদের একটি স্পষ্ট এবং নির্দিষ্ট সমাধান নেই <ref>Kitchener, K.S., Cognition, metacognition, and epistemic cognition. Human Development, 1983. 26: p. 222-232.</ref>। এই ধারণার সমর্থনে, শ্র, ডাঙ্কল এবং বেন্ডিক্সেন ২০০ অংশগ্রহণকারীর উপর একটি গবেষণা করেন। এখানে তারা দেখতে পান সুস্পষ্ট সমস্যায় পারফর্ম করার দক্ষতা অনির্দিষ্ট সমস্যায় দক্ষতা প্রদর্শনের পূর্বাভাস নয়, কারণ অনির্দিষ্ট সমস্যা জ্ঞানের বিষয়ে ভিন্ন বিশ্বাস সক্রিয় করে <ref>Schraw G., Dunkle, M. E., & Bendixen L. D. (1995). Cognitive processes in well-structured and ill-structured problem solving. Applied Cognitive Psychology, 9, 523–538.</ref>।
শিন, জোনাসেন এবং ম্যাকগি (২০০৩) <ref name=":322" /> আরও দেখেছেন যে অনির্দিষ্ট সমস্যা সমাধানে এমন কিছু দক্ষতা কাজে লাগে যা সুস্পষ্ট সমস্যার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয় না। সুস্পষ্ট সমস্যায় বিষয়ভিত্তিক জ্ঞান এবং যৌক্তিকতা সমস্যা সমাধান স্কোরকে প্রভাবিত করে। এখানে অনির্দিষ্ট সমস্যায় যুক্তিতর্ক, মনোভাব এবং '''<u>মেটাকগনিশন</u>''' বেশি প্রভাব ফেলে।
এই অনুসন্ধানের সাথে সঙ্গতি রেখে, চো এবং জোনাসেন (২০০২) <ref>Cho, K. L., & Jonassen, D. H. (2002) The effects of argumentation scaffolds on argumentation and problem solving. Educational Technology: Research & Development, 50(3), 5-22.</ref> দেখিয়েছেন যে অনির্দিষ্ট সমস্যা সমাধানের জন্য দলগুলো আরও বেশি যুক্তিতর্ক ও সমস্যা সমাধানের কৌশল তৈরি করে কারণ তাদেরকে বিভিন্ন সমাধান ও দৃষ্টিভঙ্গি বিবেচনায় নিতে হয়। বিপরীতে, একই যুক্তিতর্ক পদ্ধতি সুস্পষ্ট সমস্যার ক্ষেত্রে অংশগ্রহণকারীদের কার্যক্রমে বিঘ্ন ঘটায়। এই গবেষণা দুটি ধরনের সমস্যার সমাধান প্রক্রিয়ায় মৌলিক পার্থক্য নির্দেশ করে।
===== শ্রেণিকক্ষ পরিবেশের প্রভাব =====
সুস্পষ্ট এবং অনির্দিষ্ট সমস্যার মৌলিক পার্থক্য নির্দেশ করে যে অনির্দিষ্ট সমস্যা সমাধানের জন্য ভিন্ন ধরনের দক্ষতা, কৌশল ও পন্থা দরকার <ref name=":322" />। অথচ অধিকাংশ শিক্ষাগত কার্যক্রম সুস্পষ্ট সমস্যার সমাধানে শিক্ষার্থীদের যুক্ত করে, যেমন পাঠ্যপুস্তকের শেষে থাকা সমস্যা বা মানসম্পন্ন পরীক্ষাগুলোর প্রশ্ন <ref name=":23">Jonassen, D. H. (2000). Revisiting activity theory as a framework for designing student-centered learning environments. In D. H. Jonassen, S. M. Land, D. H. Jonassen, S. M. Land (Eds.) , Theoretical foundations of learning environments (pp. 89-121). Mahwah, NJ, US: Lawrence Erlbaum Associates Publishers.</ref>। দুর্ভাগ্যজনকভাবে, সুস্পষ্ট সমস্যার জন্য ব্যবহৃত কৌশল বাস্তব জীবনের অনির্দিষ্ট সমস্যার ক্ষেত্রে তেমন কার্যকর নয় <ref>Spiro, R. J., Feltovich, P. J., Jacobson, M. J., & Coulson, R. L. (1992). Cognitive flexibility, constructivism, and hypertext: Random access instruction for advanced knowledge acquisition in ill-structured domains. In T. M. Duffy, D. H. Jonassen, T. M. Duffy, D. H. Jonassen (Eds.) , Constructivism and the technology of instruction: A conversation (pp. 57-75). Hillsdale, NJ, England: Lawrence Erlbaum Associates, Inc.</ref>। কারণ সুস্পষ্ট সমস্যার জন্য ব্যবহৃত সরলীকৃত কৌশলগুলোর বাস্তব জীবনের সমস্যার সাথে প্রায় কোনো মিল নেই <ref name=":23" />
এটি নির্দেশ করে যে শ্রেণিকক্ষ এমনভাবে পুনর্গঠন করা উচিত যা শিক্ষার্থীদের অনির্দিষ্ট সমস্যার সমাধানে সহায়তা করে। এর একটি উপায় হতে পারে শিক্ষার্থীদের এমন প্রশ্ন জিজ্ঞেস করা যা বাস্তব জীবনের সমস্যার প্রতিফলন করে <ref name=":24">Barrows, H. S. (1996). “Problem-based learning in medicine and beyond: A brief overview.” In L. Wilkerson & W. H. Gijselaers (Eds.), Bringing ''[[চিন্তন ও নির্দেশনা/সমস্যা সমাধান, সমালোচনামূলক চিন্তন ও যুক্তি#glos Problem-Based Learning|Problem-Based Learning]]'' to higher education: Theory and practice (pp. 3-12). San Francisco: Jossey Bass.</ref>। এই পদ্ধতিকে বলা হয় '''<u>সমস্যাভিত্তিক শিক্ষা</u>''' এবং এই শ্রেণিকক্ষ কাঠামোতে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন উৎস থেকে প্রমাণ, তথ্য ও উপাত্ত সংগ্রহ করে প্রশ্নের সমাধান খুঁজে বের করার সুযোগ পায় <ref name=":25">(Barron, B., & Darling-Hammond, L. (2008). Teaching for meaningful learning: A review of research on inquiry-based and cooperative learning. Powerful Learning: What We Know About Teaching for Understanding (pp. 11-70). San Francisco, CA: Jossey-Bass.)</ref>। এতে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি ও ব্যাখ্যা বিবেচনা করে তথ্য বিশ্লেষণ এবং উপস্থাপন শেখে <ref name=":25" />।
====== শ্রেণিকক্ষের কাঠামো ======
সমস্যাভিত্তিক শিক্ষায়, শিক্ষার্থীরা ছোট ছোট দলে কাজ করে যেখানে তারা তাৎপর্যপূর্ণ সমস্যার অনুসন্ধান করে, সমস্যার সমাধানে প্রয়োজনীয় তথ্য চিহ্নিত করে এবং কার্যকর সমাধানের পদ্ধতি নির্ধারণ করে <ref name=":24" />। শিক্ষার্থীরা এই কৌশলগুলো প্রয়োগ করে, তাদের ফলাফল বিশ্লেষণ করে এবং নতুন কৌশল উদ্ভাবন করে যতক্ষণ না তারা কার্যকর সমাধানে পৌঁছায় <ref name=":24" />। এই শ্রেণিকক্ষ কাঠামোতে শিক্ষক শিক্ষণ প্রক্রিয়াকে পরিচালনা করেন, অংশগ্রহণে উৎসাহ দেন এবং শিক্ষার্থীদের বিশ্লেষণ ও সমালোচনামূলক চিন্তা বাড়াতে প্রশ্ন করেন <ref name=":24" />। এছাড়াও শিক্ষকরা প্রথাগত লেকচার এবং ব্যাখ্যা প্রদান করতে পারেন যা শিক্ষার্থীদের অনুসন্ধান ভিত্তিক শিক্ষায় সহায়তা করে <ref name=":24" />।
সমস্যাভিত্তিক শিক্ষার কার্যকারিতা সমর্থনে ডচি, সেজার্স, ভ্যান ডেন বোশে এবং গিজবেলস (২০০৩) পরিচালিত একটি মেটা-বিশ্লেষণ দেখিয়েছে যে সমস্যাভিত্তিক শিক্ষা ঐতিহ্যবাহী শিক্ষার চেয়ে বেশি কার্যকর, বিশেষত নমনীয় সমস্যা সমাধান, জ্ঞানের প্রয়োগ এবং অনুমান তৈরির ক্ষেত্রে <ref>Dochy, F., Segers, M., Van den Bossche, P., & Gijbels, D. (2003). Effects of problembased learning: A meta-analysis. Learning and Instruction, 13, 533–568.</ref>।
Furthermore, Williams, Hemstreet, Liu, and Smith (1998) লক্ষ্য করেছিলেন যে এই পদ্ধতি বিজ্ঞানে ধারণাগত বোঝাপড়ায় আরও উন্নতি সাধন করে<ref>Williams, D., Hemstreet, S., Liu, M.& Smith, V. (1998). Examining how middle school students use problem-based learning software. Unpublished paper presented at the ED-Media/ED Telecom ‘98 world Conference on Educational Multimedia and Hypermedia & World Conference on Educational Telecommunications, Freiberg, Germany.</ref>। সর্বশেষে Gallagher, Stepien, & Rosenthal (1992) দেখেছেন যে, প্রচলিত পদ্ধতি বনাম প্রকল্প-ভিত্তিক পদ্ধতির তুলনায়, সমস্যা-ভিত্তিক শিক্ষায় শিক্ষার্থীরা সমস্যাকে সংজ্ঞায়িত করার দক্ষতা প্রদর্শন করে<ref>Gallagher, S. A., Stepien, W. J., & Rosenthal, H. (1992). The effects of problem based learning on problem solving. Gifted Child Quarterly, 36, 195–200. Gertzman, A., & Kolodner, J. L.</ref>। এই গবেষণাগুলি সমস্যা-ভিত্তিক শিক্ষার সুবিধাগুলি তুলে ধরে যা বিজ্ঞানে সমস্যা বোঝা ও সংজ্ঞায়িত করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। সমস্যা সংজ্ঞায়নের ইতিবাচক প্রভাবের পরিপ্রেক্ষিতে, এই শিক্ষাগত পদ্ধতি পরবর্তী উপ-ভাষ্য 'সমস্যার ধারণাকরণ' বিষয়েও প্রযোজ্য হতে পারে।
=== সমস্যা সমাধানের ধাপ ===
সমস্যা সমাধান সংক্রান্ত গবেষণায় সাধারণভাবে পাঁচটি ধাপ চিহ্নিত করা হয়েছে: (১) সমস্যা শনাক্তকরণ, (২) সমস্যা উপস্থাপন, (৩) উপযুক্ত কৌশল নির্বাচন, (৪) কৌশল বাস্তবায়ন, এবং (৫) সমাধান মূল্যায়ন<ref name=":202" />। এই আলোচনা সমস্যার প্রথম দুটি ধাপে গুরুত্ব দেবে এবং বিশ্লেষণ করবে কীভাবে এই ধাপগুলো সমস্যা সমাধানে প্রভাব ফেলে।
[[চিত্র:PBL_Cycle.png|থাম্ব|সমস্যা সমাধানের পাঁচটি ধাপ একটি চক্র তৈরি করে যা শিক্ষার্থীদের সর্বোত্তম সমাধান চিন্তার ধারাকে পরিশোধিত করতে সাহায্য করে।]]
==== সমস্যার ধারণাকরণ ====
সমস্যা সমাধানের সবচেয়ে ক্লান্তিকর এবং কঠিন দিকগুলোর একটি হলো সমস্যাটি শনাক্ত করা, কারণ এটি করতে হলে সমস্যাটিকে বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে বিবেচনা করতে হয় এবং খুব তাড়াতাড়ি কোনো এক নির্দিষ্ট সমাধানে পৌঁছানোর প্রবণতা থেকে বিরত থাকতে হয়<ref name=":212" />। তদুপরি, এটি স্পষ্টভাবে সমস্যা নির্ধারণে সময় ব্যয় করাও গুরুত্বপূর্ণ, কারণ কোনো নির্দিষ্ট সমস্যা 'ধারণা করতে' ব্যয় করা সময় এবং সমাধানের মানের মধ্যে একটি সম্পর্ক রয়েছে<ref name=":202" />।
উদাহরণস্বরূপ, নিম্নোক্ত সমস্যাটি বিবেচনা করুন:
''বেকা তার ওভেনে পঁচিশ মিনিটে একটি চকলেট কেক বানিয়েছে। তাকে তিনটি চকলেট কেক বানাতে কতক্ষণ সময় লাগবে?''
বেশিরভাগ মানুষ ২৫ গুণ ৩ করে সমাধানে পৌঁছাবে, কিন্তু যদি সব কেক একসাথে ওভেনে বসানো হয়, তাহলে দেখা যাবে তিনটি কেক বানাতেও একই সময় লাগবে যত সময় লাগে একটি কেক বানাতে। এই উদাহরণটি সমস্যাটি সঠিকভাবে ধারণা করার প্রয়োজনীয়তাকে তুলে ধরে এবং সমাধানে তাড়াহুড়ো না করে সমস্যাটি বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে দেখার প্রয়োজনীয়তাও নির্দেশ করে।
এটি আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যেতে, সমস্যাটি ধারণা করতে নিচের পাঁচটি ধাপ বিশ্লেষণ করুন:
'''পর্যায় ১ - সমস্যা সংজ্ঞায়িত করা'''
{| class="wikitable"
!লক্ষ্য (আমি চাই...)
!বাধা (কিন্তু...)
|-
|'''একটি নতুন গাড়ি কিনতে চাই।'''
!আমি জানি না কোন মডেলটি সবচেয়ে সাশ্রয়ী।
|-
|'''আরও ব্যায়াম করতে চাই।'''
!আমি জানি না কখন সময় পাব।
|-
|'''ভালো চাকরি পেতে চাই।'''
!আমি জানি না আমাকে কী ধরণের পুনঃপ্রশিক্ষণ নিতে হবে।
|}
'''পর্যায় ২ - সমাধানের জন্য আইডিয়া তৈরি'''
{| class="wikitable"
!সমস্যা
!তথ্য যাচাই
|-
|'''আমার একটি নতুন গাড়ি কেনা দরকার।'''
|'''এতে কত টাকা লাগবে?'''
'''আমি কি সত্যিই গাড়ি প্রয়োজন নাকি গণপরিবহন ব্যবহার করতে পারি?'''
'''নতুন গাড়ি ভালো নাকি পুরনো কেনা ভালো হবে?'''
|}
'''পর্যায় ৩ - একটি সমাধান নির্বাচন করুন'''
{| class="wikitable"
![[চিত্র:Stage_4.png|ফ্রেমহীন]]
|}
'''পর্যায় ৪ - সমাধান বাস্তবায়ন করুন'''
{| class="wikitable"
![[চিত্র:Step_3_-_Problem_Solving.png|ফ্রেমহীন]]
|}
'''পর্যায় ৫ - ফলাফল পর্যালোচনা করুন'''
{| class="wikitable"
!ফলাফল -
নতুন গাড়ি কেনার সিদ্ধান্ত কি সেরা ছিল?
নতুন গাড়ি কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো, টাকা জমিয়ে তা কেনা হলো, এবং একটি সাশ্রয়ী গাড়ি কেনা হলো।
নতুন গাড়ির দাম বেশি ছিল, কিন্তু এটি নির্ভরযোগ্য এবং দীর্ঘসময় পরিবহন হিসেবে কাজ করছে।
সুতরাং, এটি সেরা সমাধান ছিল।
|}
গবেষণাও এই কথাটিকে সমর্থন করে যে, পরবর্তী ধাপে যাওয়ার আগে সমস্যাটি স্পষ্টভাবে সংজ্ঞায়িত করা জরুরি। এই যুক্তির পক্ষে, গেটজেল এবং সিক্সজেন্টমিহালি দেখেছেন যে যারা চিত্রশিল্পী শিক্ষার্থী তাদের মধ্যে যারা তাদের শিল্পকর্ম তৈরির সময় বেশি সময় সমস্যা চিহ্নিতকরণে ব্যয় করে, তাদের কাজকে অন্যদের তুলনায় বেশি সৃজনশীল এবং মৌলিক হিসেবে মূল্যায়ন করা হয়েছে<ref name=":202" />। গবেষকরা ধারণা করেছেন, তারা এই প্রাথমিক ধাপে অধিক বিকল্প বিবেচনায় নিয়ে আরও মৌলিক ও গতিশীল সমাধানে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছেন।
এছাড়াও, অভিজ্ঞ শিক্ষক এবং নতুন প্রশিক্ষণরত শিক্ষার্থীদের মধ্যে তুলনা করলে দেখা যায় যে, অভিজ্ঞ শিক্ষকরা কল্পিত শ্রেণীকক্ষে পাঠ পরিকল্পনায় তুলনামূলকভাবে বেশি সময় ব্যয় করেন<ref name=":202" />। উপরন্তু, তারা উভয় ধরণের সমস্যায় (স্পষ্ট ও অস্পষ্টভাবে সংজ্ঞায়িত) উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি সমাধান প্রস্তাব করতে পেরেছেন। ফলে দেখা যায়, সফল সমস্যা সমাধানের সঙ্গে সঠিক সমস্যা নির্ধারণে সময় ব্যয় এবং বহুবিধ সমাধান বিবেচনার সম্পর্ক রয়েছে।
===== শিক্ষণগত প্রভাব =====
গবেষণালব্ধ তথ্য থেকে একটি শিক্ষণগত ধারণা নেওয়া যায় যে, সমস্যা ধারণায় ব্যয় করা সময় এবং সমাধানের মানের মধ্যে সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে, তাই শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের এই পর্যায়ে যতটা সম্ভব সময় ব্যয় করতে উৎসাহিত করা উচিত<ref name=":202" />। এই জ্ঞান প্রদান করে এবং শিক্ষার্থীদের সমস্যা সমাধানের প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করে নিশ্চিত করা যে তারা সমস্যা ধারণায় “থেমে থাকে”, আমরা কার্যকর সমস্যা সমাধানে সহায়তা করতে পারি<ref name=":202" />।
==== সমস্যার উপস্থাপন ====
''[[চিন্তন ও নির্দেশনা/সমস্যা সমাধান, সমালোচনামূলক চিন্তন ও যুক্তি#glos সমস্যার উপস্থাপন|সমস্যার উপস্থাপন]]'' বলতে কোনো নির্দিষ্ট সমস্যার সম্পর্কিত তথ্য কীভাবে সংগঠিত করা হয় তা বোঝানো হয়<ref name=":202" />। বিমূর্ত উপস্থাপনায় আমরা শুধুমাত্র চিন্তা করি বা কথায় বলি, কোনো দৃশ্যমান উপস্থাপন করি না<ref name=":202" />। সমস্যা উপস্থাপনকে দৃশ্যমান করতে গেলে কাগজ, কম্পিউটার ইত্যাদির মাধ্যমে গল্প, প্রতীক, ছবি, সমীকরণ বা গ্রাফের মাধ্যমে উপস্থাপন করতে হয়। এই দৃশ্যমান উপস্থাপনাগুলি<ref name=":202" /> কার্যকর হতে পারে, কারণ সেগুলি সমাধান এবং ধাপগুলি ট্র্যাক রাখতে সাহায্য করে। এটি জটিল সমস্যায় বিশেষভাবে উপকারী।
[[চিত্র:Bud_Monk_2.png|থাম্ব|ডাঙ্কারের বৌদ্ধ সন্ন্যাসী উদাহরণ।]]
উদাহরণস্বরূপ, যদি আমরা ডাঙ্কারের বৌদ্ধ সন্ন্যাসী উদাহরণটি দেখি<ref name=":202" />:
সকালে একজন বৌদ্ধ সন্ন্যাসী সূর্যোদয়ের সময় পাহাড়ে উঠে মন্দিরে যান। তিনি সূর্যাস্তের ঠিক আগে সেখানে পৌঁছান। কয়েকদিন পর, তিনি সূর্যোদয়ের সময় মন্দির থেকে নামা শুরু করেন এবং উপরের চেয়ে দ্রুত গতিতে নামেন। আপনি কি দেখাতে পারেন এমন একটি স্থান। এখানে তিনি উভয় যাত্রার সময় একই সময়ে পার হয়েছেন?<ref name=":202" />
শুধু বিমূর্ত উপস্থাপন ব্যবহার করলে এই সমস্যাটি সমাধান করা অসম্ভব মনে হয়, কারণ এতে অনেক তথ্য আছে, তা মৌখিকভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে এবং প্রশ্নে অপ্রাসঙ্গিক তথ্যও রয়েছে। দৃশ্যমান উপস্থাপন ব্যবহার করলে আমরা একটি মানসিক চিত্র তৈরি করতে পারি। এখানে দুইটি যাত্রাপথ ছেদ করে এবং সেখানে পৌঁছে একটি কার্যকর সমাধানে আসা সহজ হয়<ref>Bruning, G.J. Schraw & M.M. Norby (2011) Cognitive Psychology and Instruction (5th Ed). New York: Pearson.</ref>।
গবেষণাও দেখায় যে, কঠিন সমস্যার ক্ষেত্রে দৃশ্যমান উপস্থাপন উপকারী। মার্টিন এবং শোয়ার্জ<ref>Martin, L., and D. L. Schwartz. 2009. “Prospective Adaptation in the Use of External Representations.” Cognition and Instruction 27 (4): 370–400. doi:10.1080/</ref> দেখেছেন যে কঠিন কাজে এবং যখন মাঝে মাঝে সম্পদ ব্যবহার করা যায়, তখন বহিঃস্থ উপস্থাপন বেশি ব্যবহার করা হয়। যদিও এই উপস্থাপন তৈরি করতে সময় লাগে। এরা এগুলো তৈরি করেন তারা কার্যকরভাবে এবং নির্ভুলভাবে সমস্যার সমাধান করতে সক্ষম হন।
আরেকটি সুবিধা হলো এই দৃশ্য উপস্থাপন আমাদের জ্ঞাতাগত পক্ষপাত কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করে। চেম্বারস এবং রেইসবার্গ কর্তৃক পরিচালিত একটি গবেষণায়<ref>Chambers, D., and D. Reisberg. 1985. “Can Mental Images Be Ambiguous?” Journal of Experimental Psychology: Human A pragmatic perspective on visual representation and creative thinking Perception and Performance 11 (3): 317–328.</ref> অংশগ্রহণকারীদের একটি ছবি দেখে চোখ বন্ধ করে সেটির মানসিক চিত্র তৈরি করতে বলা হয়। পরে যখন তাদের সেই মানসিক চিত্র থেকে বিকল্প ব্যাখ্যা বের করতে বলা হয়, তখন কেউই তা করতে পারেনি। কিন্তু যখন ছবি দৃশ্যমানভাবে উপস্থাপন করা হয়, তখন তারা দ্রুত ছবি ঘুরিয়ে অন্য ব্যাখ্যায় পৌঁছাতে পেরেছে। এটি দেখায় যে, দৃশ্য উপস্থাপন শিক্ষার্থীদের মানসিক জড়তার বিরুদ্ধে কাজ করতে সাহায্য করতে পারে। এটি পরবর্তী অংশে আলোচনা করা হবে।
===== শিক্ষণগত প্রভাব =====
উপরে দেখা গেছে, বিমূর্ত উপস্থাপনায় নির্ভর করলে আমাদের মস্তিষ্কের সীমিত স্বল্প-মেয়াদি স্মৃতি অতিরিক্তভাবে চাপের মধ্যে পড়ে<ref name=":202" />। অনেক সমস্যা এই সীমা অতিক্রম করে যার ফলে আমরা আমাদের কাজের স্মৃতিতে প্রয়োজনীয় সব তথ্য রাখতে পারি না<ref name=":202" />। ফলে এটি ইঙ্গিত করে যে, শিক্ষকরা সমস্যাগুলো দৃশ্যমান বা লিখিতভাবে উপস্থাপন করলে জ্ঞাতাগত চাপ কমবে। সর্বশেষে, শিক্ষকদের উচিত শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন বহিঃস্থ উপস্থাপন যেমন চার্ট, গ্রাফ, ছবি ইত্যাদির মাধ্যমে তথ্য উপস্থাপনের উপায় দেখানো যাতে করে তারা কার্যকর সমাধান খুঁজে পেতে পারে।
=== সমস্যা সমাধানের চ্যালেঞ্জ ===
উপরে আলোচনা অনুযায়ী, সমস্যা সমাধানকে সহজতর করতে বিভিন্ন কৌশল রয়েছে, কিন্তু এমন কিছু বিষয়ও রয়েছে যা এই প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ: কারও পূর্বের অভিজ্ঞতা অনেক সময় নতুন সমাধান, পন্থা বা ধারণা ভাবতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারে<ref name=":26">Öllinger, M., Jones, G., & Knoblich, G. (2008). Investigating the effect of mental set on insight problem solving. Experimental Psychology, 55(4), 269-282. doi:10.1027/1618-3169.55.4.269</ref>।
==== মনোভাব ====
একটি মনোভাব বলতে বোঝায় কোনো কাজের প্রতি আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি যা অতীত অভিজ্ঞতার দ্বারা প্রভাবিত হয়ে গঠিত হয়।<ref name=":262" /> "Mental set" বলতে বোঝায় অতীতের সফল সমাধানগুলোকেই আমরা বারবার ব্যবহার করতে চাই, পরিবর্তে নতুন কোনো বিকল্প উপায় খুঁজে বের না করা। কিছু কিছু পরিস্থিতিতে এই ধরণের মানসিকতা কার্যকরী হতে পারে, যেমন পূর্বের সফল কৌশল ব্যবহার করে আমরা দ্রুত কোনো সমস্যার সমাধান খুঁজে পেতে পারি। তবে, এটি অনেক সম্ভাব্য এবং অধিক কার্যকর সমাধানকে বাদ দিয়ে দিতে পারে।
[[চিত্র:Candle_task.png|থাম্ব|মোমবাতির কাজ হলো একটি উদাহরণ যা দেখায় কীভাবে বন্ধ মানসিকতা "কার্যকরী স্থিরতা" সৃষ্টি করে।]]
==== কার্যকরী স্থিরতা ====
''[[চিন্তন ও নির্দেশনা/সমস্যা সমাধান, সমালোচনামূলক চিন্তন ও যুক্তি#glos Functional fixedness|কার্যকরী স্থিরতা]]'' হলো এক ধরনের মানসিক গঠন যেখানে আমরা কোনো বস্তুর প্রচলিত কাজেই সীমাবদ্ধ থাকি এবং তার নতুন সম্ভাব্য ব্যবহারগুলো উপেক্ষা করি।<ref name=":203" />
"কার্যকরী স্থিরতা"-এর একটি প্রথাগত উদাহরণ হলো "মোমবাতির সমস্যা"।<ref>Duncker, K. (1945). On Problem Solving. Psychological Monograph, Whole No. 270.</ref> ধরুন আপনি একটি টেবিলের সামনে বসে আছেন। এখানে একটি বাক্স ভর্তি ট্যাক, একটি মোমবাতি এবং কিছু ম্যাচ আছে। আপনাকে বলা হলো যত দ্রুত সম্ভব একটি জ্বলন্ত মোমবাতিকে কর্কবোর্ড দেওয়ালে এমনভাবে বসাতে হবে যাতে মোম টেবিলে গলে না পড়ে। কার্যকরী স্থিরতা-এর কারণে আপনি প্রথমে মনে করতে পারেন ট্যাক ব্যবহার করে মোমবাতিকে দেয়ালে পিন করে দেওয়াটাই সঠিক, কারণ সাধারণত ট্যাক এমন কাজেই ব্যবহৃত হয়—এই অভ্যস্ততাই এক্সপেরিমেন্টের অংশগ্রহণকারীদের প্রভাবিত করেছিল। কিন্তু এটি ভুল সমাধান কারণ এতে মোম টেবিলে গলে পড়বে।
সবচেয়ে কার্যকর সমাধান হলো ট্যাক ভর্তি বাক্সটিকে শুধু একটি ধারক হিসেবে না দেখে একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কল্পনা করা। যদি আমরা বাক্সটি খালি করি, তবে এটি মোমবাতির জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ব্যবহার করতে পারি এবং ট্যাকগুলো দিয়ে বাক্সটিকে দেয়ালে লাগাতে পারি। প্রথমে এই সমাধানটি ভাবা কঠিন, কারণ আমরা বাক্সটিকে সাধারণত ট্যাক রাখার পাত্র হিসেবেই ভাবি এবং এর অন্য কোনো ব্যবহার কল্পনা করতে পারি না (যেমন, এটি একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করতে পারে)। এই পরীক্ষাটি দেখায় কিভাবে পূর্ব জ্ঞান আমাদের চিন্তাকে সীমাবদ্ধ করতে পারে এবং সমস্যা সমাধানে বাধা সৃষ্টি করতে পারে।
===== কার্যকরী স্থিরতা কাটিয়ে ওঠার কৌশল =====
ম্যাকক্যাফ্রে (২০১২) এর প্রস্তাব অনুযায়ী,<ref name=":27">McCaffrey, T. (2012). Innovation relies on the obscure: A key to overcoming the classic problem of functional fixedness. Psychological Science, 23(3), 215-218.</ref> কার্যকরী স্থিরতা কাটিয়ে ওঠার একটি উপায় হলো বস্তুকে খণ্ড খণ্ড অংশে ভাগ করা। এভাবে আমরা দুটি মৌলিক প্রশ্ন করতে পারি: “এটি কি আরও ছোট অংশে ভাঙা যায়?” এবং “আমার বর্ণিত অংশের নাম কি কোনো ব্যবহার নির্দেশ করে?” এই বিষয়টি বোঝাতে ম্যাকক্যাফ্রে একটি "steel ring figure-8" উদাহরণ দিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে একজন ব্যক্তিকে দুটি স্টিল রিং, একটি মোমবাতি এবং একটি ম্যাচ দেওয়া হয়। তাকে বলা হয় এই দুটি রিংকে মিলিয়ে একটি ৮ আকৃতি তৈরি করতে।
ব্যক্তি যখন সরঞ্জামগুলোর দিকে তাকায় তখন সে ভাবতে পারে মোমবাতির মোম গলিয়ে স্টিল রিং দুটি জোড়া লাগানো যেতে পারে। কিন্তু মোম যথেষ্ট শক্ত নয়। তখন প্রশ্ন দেখা দেয়, কীভাবে রিং দুটি জোড়া লাগানো যায়।
এখানে মোমবাতির সলতা একটি টুল হিসেবে রয়ে যায়, কিন্তু যখন আমরা এটিকে আলো দেওয়ার উপায় হিসেবে ভাবি, তখন আমরা বিকল্প ব্যবহার ভাবতে পারি না। কিন্তু যদি আমরা সলতাকে শুধুই একটি মোমে মোড়ানো সুতা হিসেবে দেখি, তাহলে আমরা সঠিক সমাধানে পৌঁছাতে পারি। এই সুতা ব্যবহার করে দুটি রিংকে একসাথে বাঁধা যেতে পারে। ম্যাকক্যাফ্রে (২০১২) দেখিয়েছেন। এরা এই কৌশলে প্রশিক্ষিত ছিল তারা কন্ট্রোল গ্রুপের তুলনায় ৬৭% বেশি সমস্যার সমাধান করতে পেরেছিল।<ref name=":27" />
====== শিক্ষণতাত্ত্বিক প্রভাব ======
এই কৌশলটি কার্যকর প্রমাণিত হওয়ায়, এটি নির্দেশ করে যে ''[[চিন্তন ও নির্দেশনা/সমস্যা সমাধান, সমালোচনামূলক চিন্তন ও যুক্তি#glos Divergent Thinking|Divergent Thinking]]'' বা বহুবিধ চিন্তাভাবনা শেখাতে শিক্ষার্থীদের শেখানো উচিত: “এই বস্তুটি আরও ছোট অংশে ভাগ করা যায় কি না”<ref name=":27" /> এবং “বর্ণিত অংশের নাম কোনো নির্দিষ্ট ব্যবহার নির্দেশ করে কি না”। এতে শিক্ষার্থীরা বস্তুগুলিকে তাদের মৌলিক রূপে বিশ্লেষণ করতে শিখবে এবং সমস্যার অস্পষ্ট বৈশিষ্ট্যগুলোকে স্পষ্ট করে তুলতে পারবে। এটি পূর্বে আলোচিত "ধারণাকরণ"-এর ধারণার সঙ্গে যুক্ত যেখানে সমস্যা সমাধানের দক্ষতা বাড়ানো যায় সমস্যাটি সঠিকভাবে সংজ্ঞায়িত করার ওপর জোর দিয়ে, আমাদের পূর্বধারণার ওপর ভিত্তি করে হঠাৎ সিদ্ধান্ত না নিয়ে। পরবর্তী অংশে আমরা আলোচনা করবো সমস্যা সমাধানে বিশেষজ্ঞরা কী কৌশল ব্যবহার করেন।
== নবীন বনাম বিশেষজ্ঞ সমস্যা সমাধানে ==
অনেক গবেষক মনে করেন কার্যকর সমস্যা সমাধান দুটি গুরুত্বপূর্ণ ভেরিয়েবলের উপর নির্ভর করে: আমরা নির্দিষ্ট ধরণের সমস্যাগুলো সমাধানে কতটা অভিজ্ঞ তা<ref name=":28">Taconis, R., Ferguson-Hessler, M. G. M., & Broekkamp, H. (2002). Teaching science problem solving: An overview of experimental work. Journal of Research in Science Teaching, 38, 442–46</ref>—যা আমরা পূর্বে আলোচনা করেছি যে, সমস্যা-ভিত্তিক পদ্ধতিতে অনুশীলনের মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের দক্ষতা বাড়ানো যায়। তবে দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হলো আমরা নির্দিষ্ট বিষয়ে কতটা জ্ঞান রাখি<ref name=":28" />। বিশেষজ্ঞদের সেই বিষয়ে বিপুল পরিমাণ জ্ঞান থাকে। এটি তাদের প্রাসঙ্গিক সমস্যার সমাধানে দ্রুত ও কার্যকরী সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করে। বিশেষজ্ঞরা নিজেদের জ্ঞানকে সংগঠিতভাবে সাজাতে পারেন। এটি তাদের তথ্য বোঝা, সাজানো ও ব্যাখ্যা করার প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করে এবং এর ফলে তারা নবীনদের তুলনায় ভালোভাবে স্মরণ, বিশ্লেষণ এবং সমাধান করতে সক্ষম হন।<ref>Bransford, J. D., Brown, A. L., & Cocking, R. R. (Eds.). (2000). How people learn: Brain, mind, experience, and school. Washington, DC: National Academies Press.</ref>
বিশেষজ্ঞ ও নবীনদের সমস্যা সমাধানের কৌশলের মধ্যে তুলনা করলে দেখা যায়, বিশেষজ্ঞরা সাধারণত তাদের জ্ঞানকে গভীর কাঠামো বা মৌলিক ধারণার চারপাশে সংগঠিত করেন, যেমন সমস্যাটি সমাধানে কী ধরণের কৌশল প্রয়োজন<ref name=":29">Novick, L. R., & Bassok, M. (2005). Problem solving. In K. Holyoak & R. Morrison (Eds.), The Cambridge handbook of thinking and reasoning (pp. 321–350). Cambridge, UK: Cambridge University Press.</ref>। বিপরীতে, নবীনরা সমস্যাগুলোকে বাহ্যিক কাঠামোর ভিত্তিতে শ্রেণিবদ্ধ করে, যেমন সমস্যায় থাকা বস্তুগুলো।<ref name=":29" />
বিশেষজ্ঞরা সমস্যা বিশ্লেষণ ও শনাক্ত করতে নবীনদের তুলনায় বেশি সময় ব্যয় করেন। তারা সমাধান বাস্তবায়নের আগে চিন্তা ও পরিকল্পনার জন্য বেশি সময় নেন এবং কিছু নির্দিষ্ট কৌশল ব্যবহার করেন যা তাদের আরও কার্যকর সমাধান দিতে সক্ষম করে।<ref>Fuchs, L. S., Fuchs, D., Stuebing, K., Fletcher, J. M., Hamlett, C. L., & Lambert, W. (2008). Problem solving and computational skills: Are they shared or distinct aspects of mathematical cognition? Journal of Educa- tional Psychology, 100, 30–</ref>
এছাড়াও, বিশেষজ্ঞরা নবীনদের তুলনায় সমস্যার গভীর এবং পূর্ণাঙ্গ উপস্থাপনায় নিয়োজিত থাকেন, যেমন বাহ্যিক উপস্থাপন পদ্ধতি—ডায়াগ্রাম বা স্কেচ—ব্যবহার করে তথ্য তুলে ধরা এবং সমস্যার সমাধান করা। এর ফলে তারা দ্রুত এবং আরও ভালো সমাধানে পৌঁছাতে পারেন।<ref name=":30">McNeill, K., & Krajcik, J. (2008). Scientific explanations: Characterizing and evaluating the effects of teachers’ instructional practices on student learning. Journal of Research in Science Teaching, 45, 53–78.</ref>
উপরের আলোচনার ভিত্তিতে বলা যায়, সমস্যা সমাধান ও দক্ষতা একে অপরের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত, কারণ বিশেষজ্ঞরা যেসব কৌশল ব্যবহার করেন সেগুলো কার্যকর সমস্যা সমাধানের কৌশল হিসেবেও চিহ্নিত হয়েছে। তাই বলা যায়, বিশেষজ্ঞদের শুধু বিষয়ভিত্তিক জ্ঞানই বেশি নয়, তারা জানেন এবং প্রয়োগ করেন সবচেয়ে কার্যকর কৌশলগুলো যাতে করে তারা নবীনদের তুলনায় আরও দ্রুত এবং দক্ষতার সঙ্গে সমস্যার সমাধান করতে পারেন।<ref name=":30" /> পরবর্তী অংশে আমরা আলোচনা করবো সমস্যা সমাধান ও সমালোচনামূলক চিন্তার মধ্যকার সম্পর্ক।
== সমস্যা সমাধানে কগনিটিভ টিউটর ==
কগনিটিভ টিউটর বা জ্ঞানীয় শিক্ষক হলো এক ধরনের বুদ্ধিমান শিক্ষণ সহায়ক পদ্ধতি।<ref name=":332">Aleven, V. A. W. M. M., & Koedinger, K. R. (2002) An effective meta-cognitive strategy: learning by doing and explaining with a computer-based Cognitive Tutor. Cognitive Science, 26(2), 147–179.</ref> এটি শিক্ষার্থীদের আলাদা ভিত্তিতে বিভিন্ন ধরণের সমস্যা দিতে পারে, ব্যবহারকারীর সমাধান প্রক্রিয়া ট্র্যাক করতে পারে, প্রয়োজনীয় মুহূর্তে প্রতিক্রিয়া ও ইঙ্গিত দিতে পারে এবং দক্ষতা অর্জনের মানদণ্ড বাস্তবায়ন করতে পারে।<ref name=":342">Anderson, J. R., Corbett, A. T., Koedinger, K. R., & Pelletier, R. (1995). Cognitive Tutors: Lessons learned. Journal of the Learning Sciences, 4(2), 167.</ref>
অ্যান্ডারসন এবং তার সহকর্মীদের মতে,<ref name=":342" /> যারা LISP টিউটরের সাহায্যে কাজ করেছে তারা সমস্যাগুলো ৩০% দ্রুত সমাধান করেছে এবং ৪৩% ভালো ফল করেছে তাদের সহপাঠীদের তুলনায় যারা শুধু শিক্ষকের সহায়তায় মিনি কোর্স করেছিল। একইভাবে। এরা এসিটি প্রোগ্রামিং টিউটর (APT) ব্যবহার করেছে (এটি তাত্ক্ষণিক প্রতিক্রিয়া দেয়) তারা ঐ সমস্যার সেটগুলো দ্রুত শেষ করেছে এবং পরীক্ষায় ২৫% বেশি নম্বর পেয়েছে ঐসব শিক্ষার্থীদের তুলনায় যারা প্রচলিত উপায়ে ক্লাস করেছে।<ref name=":35">Corbett, A. T., & Anderson, J. R. (2001). Locus of feedback control in computer-based tutoring: Impact on learning rate, achievement and attitudes. In Proceedings of the SIGCHI Conference on Human Factors in Computing Systems (pp. 245–252). New York, NY, USA: ACM.</ref> এছাড়াও, উচ্চ বিদ্যালয়ের জ্যামিতি ক্লাসে যারা সমস্যা সমাধানের জন্য জ্যামিতি প্রমাণ টিউটর (GPT) ব্যবহার করেছে তারা পরবর্তীতে নেওয়া পরীক্ষায় ঐসব শিক্ষার্থীদের চেয়ে বেশি নম্বর পেয়েছে যারা প্রচলিত ক্লাসরুম কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেছিল।<ref name=":36">Koedinger, K. R., & Corbett, A. (2006). Cognitive tutors. The Cambridge handbook of the learning sciences, 61-77.</ref>
=== কগনিটিভ টিউটরের একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ ===
১৯৮৫ সালে, অ্যান্ডারসন, বয়েল এবং রেইগসার বুদ্ধিমান টিউটরিং সিস্টেমে কগনিটিভ সাইকোলজির শাখাটি যুক্ত করেন। সেই সময় থেকে, বুদ্ধিমান টিউটরিং সিস্টেম এই পদ্ধতিকে গ্রহণ করে শিক্ষার্থীদের জ্ঞান অর্জনের জন্য কগনিটিভ মডেল নির্মাণ করে। এর নাম দেওয়া হয় কগনিটিভ টিউটর।<ref name=":343" /> সবচেয়ে বহুল ব্যবহৃত কগনিটিভ টিউটর হলো কগনিটিভ_টিউটর® Algebra I।<ref name=":362" /> কার্নেগি লার্নিং, ইনকর্পোরেটেড। এর মালিকানাধীন ট্রেডমার্ক এটি, তারা পূর্ণাঙ্গ কগনিটিভ_টিউটর® বিকাশ করছে। এর মধ্যে রয়েছে বীজগণিত I, II, বীজগণিতের সেতু, জ্যামিতি, এবং সমন্বিত গণিত I, II, III। কগনিটিভ_টিউটর® এখন স্প্যানিশ মডিউলও অন্তর্ভুক্ত করেছে।
কগনিটিভ টিউটর শেখার প্রক্রিয়াকে “কাজ করে শেখা”-এর ধারণাকে সমর্থন করে। এটি মানবিক টিউটরিংয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যভিত্তিক দক্ষতা বা ধারণা প্রয়োগের সুযোগ ও বিষয়বস্তুভিত্তিক প্রতিক্রিয়া প্রদান করে।<ref name=":362" /> শিক্ষার্থীদের পারফরম্যান্স পর্যবেক্ষণের জন্য, কগনিটিভ টিউটর দুটি ''[[চিন্তন ও নির্দেশনা/সমস্যা সমাধান, সমালোচনামূলক চিন্তন ও যুক্তি#glos Algorithms|অ্যালগরিদম]]'' ব্যবহার করে — মডেল ট্রেসিং ও নলেজ ট্রেসিং। মডেল ট্রেসিং তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া প্রদান করে এবং শিক্ষার্থীর প্রতিটি ধাপে নির্দিষ্ট বিষয়বস্তুভিত্তিক পরামর্শ দেয়।<ref name=":343" /> নলেজ ট্রেসিং ব্যবহারকারীর পূর্বজ্ঞান অনুসারে প্রতিটি ব্যবহারকারীর জন্য উপযুক্ত কাজ নির্বাচন করে যাতে তারা মাস্টারি লার্নিং অর্জন করতে পারে।<ref name=":343" /><ref name=":362" />
কগনিটিভ টিউটর বিভিন্ন পাঠ্যক্রম বা বিষয়ে তৈরি এবং প্রয়োগ করা যায় শিক্ষার্থীদের শেখায় সহায়তা করার জন্য, এবং ক্লাসরুম লার্নিং-এ অভিযোজিত সফটওয়্যার হিসেবে সংযুক্ত করা যায়। এই পাঠ্যক্রম ও বিষয়গুলির মধ্যে রয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের গণিত,<ref name=":333" /> <ref name=":352" /> <ref>Koedinger, K. R. (2002). Toward evidence for instructional design principles: Examples from Cognitive Tutor Math 6. In Proceedings of PME-NA XXXIII (The North American Chapter of the International Group for the Psychology of Mathematics Education).</ref> উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জেনেটিকস,<ref>Corbett, A., Kauffman, L., Maclaren, B., Wagner, A., & J,.ones, E. (2010). A Cognitive Tutor for genetics problem solving: Learning gains and student modeling. Journal of Educational Computing Research, 42(2), 219–239.</ref> এবং প্রোগ্রামিং।<ref name=":343" /><ref name=":352" /><ref>Corbett, A. T., & Anderson, J. R. (2008). Knowledge decomposition and sub-goal reification in the ACT programming tutor. Department of Psychology, 81.</ref><ref>Corbett, A. T., & Bhatnagar, A. (1997). Student modelling in the ACT programming tutor: Adjusting a procedural learning model with declarative knowledge. In User modelling (pp. 243-254). Springer Vienna.</ref>
কগনিটিভ টিউটর শ্রেণীকক্ষ, শিক্ষার্থীদের উৎসাহ এবং অর্জনে বিশাল প্রভাব ফেলেছে।<ref>Corbett, A. (2002). Cognitive tutor algebra I: Adaptive student modelling in widespread classroom use. In Technology and assessment: Thinking ahead. proceedings from a workshop (pp. 50-62).</ref> কগনিটিভ টিউটরের কার্যকারিতা সম্পর্কে গবেষণার প্রমাণগুলো ইঙ্গিত করে যে, এটি শ্রেণীকক্ষ শিক্ষার তুলনায় অধিক কার্যকর।<ref name=":343" /><ref>Koedinger, K. R. & Anderson, J. R. (1993). Effective use of intelligent software in high school math classrooms. In Proceedings of the World Conference on Artificial Intelligence in Education, (pp. 241-248). Charlottesv</ref><ref>Koedinger, K., Anderson, J., Hadley, W., & Mark, M. (1997). Intelligent tutoring goes to school in the big city. Human-Computer Interaction Institute.</ref><ref name=":352" />
=== কগনিটিভ টিউটরের তাত্ত্বিক পটভূমি ===
==== [http://en.wikibooks.org/wiki/Cognition_and_Instruction/Long-Term_Memory#The_ACT-R_Theory ACT-R তত্ত্ব] ====
কগনিটিভ টিউটরের তাত্ত্বিক পটভূমি হলো ACT-R তত্ত্ব অফ লার্নিং অ্যান্ড পারফরম্যান্স। এটি প্রক্রিয়াগত জ্ঞান এবং ঘোষণামূলক জ্ঞানের মধ্যে পার্থক্য করে।<ref name=":343" /> ACT-R তত্ত্ব অনুযায়ী, প্রক্রিয়াগত জ্ঞান সরাসরি মানুষের মাথায় ঢোকানো যায় না, এবং এটি if-then ''[[চিন্তন ও নির্দেশনা/সমস্যা সমাধান, সমালোচনামূলক চিন্তন ও যুক্তি#glos গুণন|গুণন]]'' বিধির মাধ্যমে উপস্থাপন করা যায়। প্রক্রিয়াগত জ্ঞান অর্জনের একমাত্র উপায় হলো কাজ করে শেখা।
==== [http://en.wikibooks.org/wiki/Cognition_and_Instruction/Long-Term_Memory#Production_Rule_Models_of_Memory প্রোডাকশন রুলস] ====
প্রোডাকশন রুলস দেখায় কিভাবে শিক্ষার্থীরা, তারা নতুন হোক বা অগ্রসর, একটি নির্দিষ্ট বিষয় বা ক্ষেত্রে চিন্তা করে।<ref name=":343" /> প্রোডাকশন রুলস শিক্ষার্থীদের অনানুষ্ঠানিক বা স্বতঃসিদ্ধ চিন্তাভাবনাকে উপস্থাপন করতে পারে।<ref>Koedinger, K. R., & Corbett, A. (2006). Cognitive tutors. The Cambridge handbook of the learning sciences, 61-77.</ref> এই অনানুষ্ঠানিক বা স্বতঃসিদ্ধ চিন্তাভাবনা সাধারণত পাঠ্যপুস্তকে শেখানো ধারণার চেয়ে ভিন্ন হয়, এবং শিক্ষার্থীরা স্কুলের বাইরেও এমন চিন্তার ধরন অর্জন করতে পারে।<ref>Resnick, L. B. (1987). Learning in school and out. Educational Researcher, 16(9), 13-20.</ref> সমস্যার সমাধানে নির্দিষ্ট অপারেশনের পরিবর্তে একটি পরিকল্পনা প্রদান করা যেমন হিউরিস্টিক পদ্ধতি;<ref>Polya, G. (1957). How to Solve It: A New Aspect of Mathematical Method. (2nd ed.). Princeton, NJ: Princeton University Press.</ref> এবং বিকল্প কৌশল যেমন প্রতীক ছাড়াও গ্রাফিক্স ব্যবহার করে সমীকরণ সমাধান করাও<ref name=":362" /> প্রোডাকশন রুলের মাধ্যমে উপস্থাপন করা যায়।
==== কগনিটিভ মডেল এবং মডেল ট্রেসিং ====
কগনিটিভ মডেল ACT-R তত্ত্ব এবং শিক্ষার্থীদের উপর পরিচালিত গবেষণার উপর ভিত্তি করে গঠিত।<ref name=":362" /> শিক্ষার্থীদের সব সমাধান এবং সাধারণ ভ্রান্ত ধারণাগুলো কগনিটিভ মডেলের প্রোডাকশন সিস্টেমে উপস্থাপিত হয়।
{| border="1" style="background-color:Whitesmoke" cellpadding="10px" cellspacing="8px" align="center"
|একটি বীজগণিতীয় সমীকরণ সমাধানের তিনটি কৌশল
|-
|<blockquote>'''সমীকরণ''': 2(3+X)=10</blockquote><blockquote>'''কৌশল ১''': 2x3+2xX=10</blockquote><blockquote>'''কৌশল ২''': 2(3+X)÷2=10÷2</blockquote><blockquote>'''কৌশল ৩''': 2x3+X=10</blockquote>
|}
উদাহরণস্বরূপ, 2(3+X)=10 এই বীজগণিতীয় সমীকরণ সমাধানের তিনটি কৌশল রয়েছে। কৌশল ১ হলো ২ দ্বারা (3+X) গুণ করা; কৌশল ২ হলো উভয় পাশে ২ দ্বারা ভাগ করা; কৌশল ৩ হলো ২ দ্বারা শুধু ৩ গুণ করে X কে গুণ না করে ভুল ধারণা প্রদর্শন করা। যেহেতু প্রতিটি কাজের একাধিক পদ্ধতি থাকতে পারে, শিক্ষার্থীরা তাদের সুবিধামত সমাধান পদ্ধতি বেছে নিতে পারে।
মডেল ট্রেসিং একটি অ্যালগরিদম যা শিক্ষার্থীদের শেখার প্রতিটি ধাপ অনুসরণ করতে পারে এবং তাত্ক্ষণিক, প্রসঙ্গভিত্তিক প্রতিক্রিয়া প্রদান করে। যদি শিক্ষার্থী সঠিক উত্তর বেছে নেয়, যেমন কৌশল ১ বা কৌশল ২ ব্যবহার করে সমাধান করে, কগনিটিভ_টিউটর® এটি গ্রহণ করে এবং শিক্ষার্থীকে পরবর্তী কাজ দেয়। যদি শিক্ষার্থীর ভুলটি একটি সাধারণ ভ্রান্ত ধারণার সঙ্গে মিলে যায়, যেমন কৌশল ৩, কগনিটিভ_টিউটর® এটিকে ভুল হিসেবে চিহ্নিত করে এবং তাৎক্ষণিকভাবে পরামর্শ দেয়, যেমন: "X-কে ২ দ্বারা গুণ করাও প্রয়োজন।" যদি শিক্ষার্থীর ভুল কোনো প্রোডাকশন রুলের সঙ্গে না মেলে, অর্থাৎ উপরোক্ত কোনো কৌশল ব্যবহার না করে, তাহলে কগনিটিভ_টিউটর® এই ধাপটিকে লাল রঙ ও ইটালিকে একটি ভুল হিসেবে চিহ্নিত করে। সমস্যার সমাধান করার সময় শিক্ষার্থীরা যে কোনো সময়ে সাহায্য বা ইঙ্গিত চাইতে পারে। করবেটের মতে,<ref name=":352" /> তিনটি স্তরের পরামর্শ রয়েছে: প্রথমত, একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য অর্জনের পরামর্শ; দ্বিতীয়ত, সেই লক্ষ্য অর্জনের জন্য সাধারণ ধারণা প্রদান; এবং তৃতীয়ত, বর্তমান প্রসঙ্গে সমস্যার সমাধান সম্পর্কে বিস্তারিত পরামর্শ।
==== নলেজ ট্রেসিং ====
নলেজ ট্রেসিং সমস্যার সমাধান প্রক্রিয়ায় শিক্ষার্থীদের ক্রমবর্ধমান প্রোডাকশন রুলস পর্যবেক্ষণ করতে পারে। প্রতিটি শিক্ষার্থী সমস্যার প্রতিটি ধাপে একটি প্রোডাকশন রুল নির্বাচন করতে পারে, এবং কগনিটিভ টিউটর শিক্ষার্থী ঐ নির্দিষ্ট রুল শিখেছে কিনা, তার সম্ভাব্যতা আপডেট করে হিসাব করতে পারে।<ref name=":352" /><ref name=":362" /> এই সম্ভাব্যতা অনুমানসমূহ সফটওয়্যারের ইন্টারফেসে স্কিল-মিটার-এ দেখানো হয়। এই অনুমান ব্যবহার করে কগনিটিভ টিউটর শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত চাহিদার ভিত্তিতে উপযুক্ত কাজ বা সমস্যা নির্বাচন করতে পারে।
=== কার্যকারিতা ===
==== কগনিটিভ টিউটর® জ্যামিতি ====
অ্যালেভেন এবং কোয়েডিঙ্গার দুটি পরীক্ষা পরিচালনা করেছিলেন যাতে দেখা যায় কগনিটিভ টিউটর® কি উচ্চ বিদ্যালয়ের জ্যামিতি ক্লাসে আত্ম-ব্যাখ্যাকে কার্যকরভাবে সহায়তা করতে পারে কিনা।<ref name=":334" /> গবেষণার ফলাফল ইঙ্গিত দেয় যে “কগনিটিভ টিউটর® ব্যবহারে সমস্যা-সমাধানের অনুশীলন তখনই আরও কার্যকর হয় যখন শিক্ষার্থীরা তাদের পদক্ষেপগুলোর ব্যাখ্যা সমস্যা-সমাধানের নীতিগুলোর মাধ্যমে দেয়।”<ref name=":33 page"><Aleven, V. A. W. M. M., & Koedinger, K. R. (2002). An effective metacognitive strategy: learning by doing and explaining with a computer-based Cognitive Tutor. Cognitive Science, 26(2), 147–179. p. 173</ref>
জ্যামিতি শেখার ক্ষেত্রে এটি তখন ঘটে যখন শিক্ষার্থীদের পূর্বজ্ঞানভিত্তিক উৎপাদন নিয়মগুলো অতিরঞ্জিত হয়। এর ফলে তারা তথ্যকে ভাসাভাসাভাবে গ্রহণ করে এবং শেখে। উদাহরণস্বরূপ, একটি শিক্ষার্থী সঠিক উত্তর বেছে নিয়ে পরবর্তী ধাপে চলে যেতে পারে এমন একটি অতিরঞ্জিত নিয়ম অনুসরণ করে—''যদি একটি কোণ অন্য একটি কোণের মতো দেখায়, তবে সেটি সমান''—প্রকৃত বোঝাপড়া ছাড়াই। অ্যালেভেন এবং কোয়েডিঙ্গার অনুযায়ী, আত্ম-ব্যাখ্যার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা আরও সাধারণ রূপে নিয়মগুলোর ব্যাখ্যা করতে শেখে এবং এটি তাদের আরও গভীরভাবে চিন্তা করতে এবং জ্যামিতি বিষয়ক নিয়মগুলোর ওপর স্পষ্টভাবে প্রতিফলন করতে উৎসাহিত করে।<ref name=":334" />
গবেষণার অন্তর্ভুক্ত সকল জ্যামিতির ক্লাসে ছিল শ্রেণিকক্ষ আলোচনা, ক্ষুদ্র-দলীয় কার্যক্রম, বক্তৃতা এবং কগনিটিভ টিউটর® ব্যবহারে সমস্যা সমাধান। উভয় পরীক্ষায়, শিক্ষার্থীদের কগনিটিভ টিউটর® এর সাহায্যে সমস্যা সমাধান করতে হয়েছে। তবে কগনিটিভ টিউটর®-এর দুটি আলাদা সংস্করণ ব্যবহার করা হয়েছে—নতুন সংস্করণটি আত্ম-ব্যাখ্যাকে সহায়তা করতে পারে, যেটি "কাজ এবং ব্যাখ্যার মাধ্যমে শিক্ষণ পরিচালিত করা" নামেও পরিচিত,<ref name=":334" /> আর অন্যটি পারে না। নতুন সংস্করণে এমন অতিরিক্ত বৈশিষ্ট্য ছিল যা শিক্ষার্থীদের প্রতিটি ধাপকে যুক্তিযুক্ত করতে জ্যামিতির নীতিমালা প্রবেশ করানো অথবা অনলাইন গ্লসারির সঙ্গে সেগুলোর সংযোগ করানো বাধ্যতামূলক করেছিল, একইসঙ্গে শিক্ষার্থীরা তাদের পছন্দ অনুযায়ী ব্যাখ্যা এবং সমাধান দিতে পারত। নতুন সংস্করণের ব্যাখ্যার ধরনটি কথ্য ব্যাখ্যার চেয়ে আলাদা ছিল। এটি আত্ম-ব্যাখ্যাবিষয়ক আরেকটি পরীক্ষায় উল্লেখ করা হয়েছে। গবেষকরা দেখতে পান। এরা নতুন সংস্করণ ব্যবহার করেছে তারা শুধু যে আরও নিখুঁতভাবে ব্যাখ্যা দিতে পেরেছে তা-ই নয়, বরং তারা জ্যামিতি বিষয়ে আরও গভীরভাবে নিয়মগুলো বুঝতে পেরেছে। ফলে, তারা সেই শেখা নিয়মগুলো নতুন পরিস্থিতিতেও প্রয়োগ করতে পেরেছে এবং ভাসাভাসা শেখা এড়াতে সক্ষম হয়েছে।
==== জেনেটিক্স কগনিটিভ টিউটর ====
করবেট ও সহকর্মীরা (২০১০) জেনেটিক্স কগনিটিভ টিউটর-এর দুটি মূল্যায়ন পরিচালনা করেন আমেরিকার ১২টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৭ ধরণের জীববিজ্ঞান কোর্সে। গবেষণায় দেখা গেছে, পোস্ট-সেকেন্ডারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জেনেটিক্স সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে জেনেটিক্স কগনিটিভ টিউটর ব্যবহার কার্যকর ছিল।<ref>Corbett, A., Kauffman, L., Maclaren, B., Wagner, A., & Jones, E. (2010). A Cognitive Tutor for genetics problem solving: Learning gains and student modelling. Journal of Educational Computing Research, 42(2), 219–239.</ref>
প্রথম মূল্যায়নে, অংশগ্রহণকারীরা ক্লাস কার্যক্রম অথবা হোমওয়ার্ক হিসেবে জেনেটিক্স কগনিটিভ টিউটর ব্যবহার করে। সফটওয়্যারটিতে ১৬টি মডিউল রয়েছে এবং এতে প্রায় ১২৫টি সমস্যা পাঁচটি সাধারণ জেনেটিক বিষয়ের উপর ভিত্তি করে। জেনেটিক্স কগনিটিভ টিউটর জেনেটিক্স সমস্যা সমাধানের জন্য ধাপে ধাপে সহায়তা দেয় এবং এতে উভয় মডেল ট্রেসিং এবং নলেজ ট্রেসিং ব্যবহার করা হয়। প্রাক-পरीক্ষণের গড় সঠিকতার হার ছিল ৪৩% এবং পরবর্তী পরীক্ষায় তা বেড়ে হয় ৬১%, অর্থাৎ গড় উন্নতি ছিল ১৮%। দ্বিতীয় মূল্যায়নে গবেষকরা খতিয়ে দেখেন, জ্ঞান ট্রেসিং অ্যালগরিদম শিক্ষার্থীদের জ্ঞানের সঠিক পূর্বাভাস দিতে পারে কিনা। ফলাফল অনুযায়ী, অ্যালগরিদমটি কাগজ-কলমভিত্তিক পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের পারফরম্যান্স যথাযথভাবে পূর্বানুমান করতে সক্ষম।
== প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা এবং নকশা চিন্তন ==
=== বাস্তব জীবনের সমস্যার সমাধানে তাত্ত্বিক চিন্তা ===
''[[চিন্তন ও নির্দেশনা/সমস্যা সমাধান, সমালোচনামূলক চিন্তন ও যুক্তি#glos Project Project Based Learning|প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা]]'' একটি ধারণা যা শিক্ষার্থীকে শিক্ষার কেন্দ্রে স্থাপন করার উদ্দেশ্যে তৈরি। এই শিক্ষায় শিক্ষার্থীকে একটি জটিল চ্যালেঞ্জ বা প্রশ্নের উত্তরে দীর্ঘ সময় ধরে অনুসন্ধানমূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করতে উৎসাহিত করা হয়। প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষার উদ্দেশ্য হল শিক্ষার্থী যেন পাঠ্যক্রম অনুসরণ করার পাশাপাশি তাদের বিদ্যমান জ্ঞান ব্যবহার করে সমস্যার সমাধান খুঁজে বের করতে পারে। মূলত, এটি এমন একটি কার্যকলাপ যেখানে শিক্ষার্থীরা বাস্তব জীবনের সমস্যা বা ইস্যুর উপর ভিত্তি করে একটি বিষয় সম্পর্কে ধারণা তৈরি করে এবং তাদের শিক্ষাক্রমের নকশা করায় এক ধরনের দায়িত্ব পালন করে<ref>Morgan, Alistar. (1983). Theoretical Aspects of Project-Based Learning in Higher Education. British Journal of Educational Technology, 14(1), 66-78.</ref>। ব্লুমেনফেল্ড প্রমুখ (১৯৯১) উল্লেখ করেছেন যে প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা শিক্ষার্থীকে তাদের মূল প্রশ্ন, কার্যকলাপ এবং তৈরি করা শিল্পকর্মের প্রক্রিয়ার প্রতি দায়িত্ববান করে তোলে<ref name=":48">Blumenfeld, Phyllis C., Elliot Soloway, Ronald W. MArx, Joseph S. Krajick, Mark Guzdial, Annemarie Palincsar.. (1991). Motivating Project-Based Learning: Sustaining the Doing, Supporting the Learning. Educational Psychologist, 26(3&4), 369-398.</ref>।
প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা পাঁচটি নির্দিষ্ট মানদণ্ডের উপর ভিত্তি করে তৈরি<ref name=":37">Thomas, John W. (2000). A Review of Research on Project-Based Learning. San Rafael: Autodesk Press.</ref>:
{| border="1"
|+'''প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষার বৈশিষ্ট্য'''
|প্রকল্পগুলো পাঠ্যক্রমের কেন্দ্রবিন্দু বা প্রান্তবর্তী যে কোন অংশে হতে পারে।
|-
|প্রকল্পগুলো এমন প্রশ্ন বা সমস্যার উপর ভিত্তি করে তৈরি যা শিক্ষার্থীদের একটি নির্দিষ্ট বিষয়ের মূল ধারণা ও নীতির মুখোমুখি করে এবং সেখানে সংগ্রাম করতে বাধ্য করে।
|-
|প্রকল্পগুলো শিক্ষার্থীদের গঠনমূলক অনুসন্ধানে সম্পৃক্ত করে।
|-
|প্রকল্পগুলো কিছুটা হলেও শিক্ষার্থী পরিচালিত হয়।
|-
|প্রকল্পগুলো বাস্তবধর্মী হয়, শুধু বিদ্যালয়ভিত্তিক নয়।
|}
[[চিত্র:Problem_Based_Learning_vs_Project_Based_Learning.png|থাম্ব|প্রকৃত এবং কার্যকর সমাধান উপস্থাপনে শিক্ষার্থীদের চ্যালেঞ্জ জানায় প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা।]]
এই ধরনের চ্যালেঞ্জগুলি বাস্তব জীবনের প্রাসঙ্গিক সমস্যা নিয়ে গঠিত। এটি শিক্ষার্থীদের অনুসন্ধান প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সম্পৃক্ত করে এবং সক্রিয় বা অভিজ্ঞতালব্ধ শিক্ষার মাধ্যমে তাদের ধারণা প্রকাশে সক্ষম করে। উদাহরণস্বরূপ, প্রাথমিক বা মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের শিক্ষকের পক্ষ থেকে স্কুলে কম্পোস্ট সমস্যা সমাধানের জন্য বলা হতে পারে। শিক্ষার্থীদের দলবদ্ধভাবে গবেষণা, নির্মাণ এবং তাদের আইডিয়া প্রদর্শনের নির্দিষ্ট মানদণ্ডের মধ্যে থেকে সমাধান বের করতে উৎসাহিত করা হবে। এখানে তারা দীর্ঘ সময় ধরে বিষয়বস্তুর সাথে মানসিকভাবে যুক্ত থাকবে এবং আগ্রহ ধরে রাখবে<ref name=":48" />। ফলাফল হবে একটি জটিল শিক্ষা প্রক্রিয়া যার সফলতা কেবল অংশগুলোর যোগফল নয় বরং সামগ্রিকতায় নিহিত<ref name=":38">van Merriënboer, J. J. G., Clark, R. E., & de Croock, M. B. M. (2002). Blueprints for complex learning: The 4C/ID-model. Educational Technology Research and Development, 50(2), 39–61. doi:10.1007/bf02504993.</ref>। প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষার লক্ষ্য হলো জ্ঞান, সহযোগিতা এবং একটি চূড়ান্ত প্রকল্প উপস্থাপনের দক্ষতা সমন্বয় করা। এই ধরণের স্কিমা নির্মাণ শিক্ষার্থীদের বাস্তব প্রশিক্ষণ ব্যবহার করে কার্যকর ফলাফল তৈরিতে সাহায্য করে। শিক্ষার্থী পূর্ববর্তী জ্ঞান ব্যবহার করে নতুন তথ্যের সাথে সংযুক্ত হয় এবং একটি বিষয় সম্পর্কে তার ধারণাকে সম্প্রসারিত করে<ref name=":38" />। প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষায় এই প্রক্রিয়াটি তথ্য সংগ্রহ, দলগত আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং সমাধান তৈরি করার মাধ্যমে সম্পন্ন হয়।
সমস্যা ভিত্তিক শিক্ষার চেয়ে প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষায় নির্মাণবাদী শিক্ষার দর্শনের ভিত্তিতে অভিজ্ঞতালব্ধ শেখাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়। এখানে শিক্ষার্থীরা একটি নির্দিষ্ট চালিকাশক্তি প্রশ্নের উত্তরে বাস্তব সমাধানের দিকে অগ্রসর হয়ে তাদের জ্ঞানের পরিমাণ প্রকাশ করে। অভিজ্ঞতালব্ধ শিক্ষার এই দার্শনিক ভিত্তি এসেছে জন ডিউই এর “এডুকেশন অ্যান্ড এক্সপেরিয়েন্স” (শিক্ষা ও অভিজ্ঞতা) নামক গ্রন্থ থেকে। ডিউই মনে করতেন যে অভিজ্ঞতা একটি ধারাবাহিক শেখার প্রক্রিয়া। এটি কৌতূহল জাগায়, উদ্যোগ বৃদ্ধি করে এবং শিক্ষার্থীকে আরও জ্ঞানের দিকে এগিয়ে নিয়ে যায়<ref name=":39">Dewey, J. (1938). Experience and education. New York: Macmillan.</ref>। প্রকৃত সমস্যার সমাধানে কাজ করার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সমাধানকে বাস্তব কাঠামোর সঙ্গে যুক্ত করে এই অভিজ্ঞতালব্ধ শিক্ষা। শিক্ষার্থীদের অবশ্যই তাদের জ্ঞানের অভাব পূরণ করতে হয় গবেষণা ও দলগত সহযোগিতার মাধ্যমে। প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষায় অভিজ্ঞতা নির্ভর শেখা একটি চালিকাশক্তি প্রশ্নের উপর কেন্দ্রীভূত থাকে। এটি সাধারণত শিক্ষক কর্তৃক নির্ধারিত। শিক্ষার্থীরা এই প্রশ্নের উত্তর দিতে একটি নকশা করা শিল্পকর্ম তৈরি করে অর্জিত জ্ঞান উপস্থাপন করে।
প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষার নির্মাণবাদী পদ্ধতি শিক্ষক কর্তৃক পরিচালিত গাইডেড ডিসকভারি পদ্ধতির মাধ্যমে পরিচালিত হয়। এখানে বিশুদ্ধ স্বাধীন অনুসন্ধান। এটি অনেক সময় শিক্ষার্থীদের খুব বেশি স্বাধীনতা দেওয়ার জন্য সমালোচিত। এক্ষেত্রে এটি এড়িয়ে নির্দিষ্ট একটি প্রশ্নের মাধ্যমে শিক্ষার পথ নির্ধারণ করা হয়<ref name=":40">van Merrienboer, J. J. G., Paul A. Kirschner, & Liesbeth Kester. (2004). Taking the Load off a Learner’s Mind: Instructional Design for Complex Learning. Amsterdam: Open University of the Netherlands.</ref>। এই ধরনের নির্মাণবাদী শিক্ষাপদ্ধতি শিক্ষার্থীদের চিন্তন প্রক্রিয়া উন্নত করতে কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে<ref name=":40" />। প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা শিক্ষার্থীদের শেখানো প্রশ্নের উত্তর নিজেরা বের করতে উৎসাহিত করে এবং সেই সঙ্গে অনুসন্ধান, বিশ্লেষণ এবং উপস্থাপনার জন্য একটি কাঠামো প্রদান করে। ফলে, প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা নির্বাচন, সংগঠন এবং জ্ঞান একীভূত করার মাধ্যমে তাৎপর্যপূর্ণ ও মানসিকভাবে উপকারী শেখার সুযোগ তৈরি করে<ref name=":40" />।
=== অভিজ্ঞতা হল শেখার ভিত্তি ===
প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা শিক্ষার একটি শাখা যা কাজের মাধ্যমে শেখাকে গুরুত্ব দেয়। জন ডিউই উল্লেখ করেছেন যে শিক্ষক ও বিদ্যালয়গুলোকে অভিজ্ঞতা ও নির্মাণবাদী পদ্ধতির মাধ্যমে তত্ত্ব ও বাস্তব জীবনের মধ্যে সম্পর্ক গভীর করতে শিক্ষার্থীদের সাহায্য করা উচিত। ডিউই বলেছেন, শিক্ষার মধ্যে অভিজ্ঞতার ধারাবাহিকতা ও শিক্ষা গণতন্ত্রায়নের একটি ধারা থাকা উচিত যাতে মানব অভিজ্ঞতার মান উন্নত হয়<ref name=":39" />। এই দুটি উপাদান প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এখানে বাস্তব সমস্যা নিরসনে সমাধান উপস্থাপন এবং দলগত সহযোগিতার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের নিজস্ব সমাধান খোঁজার সুযোগ থাকে। ব্লুমেনফেল্ড প্রমুখ উল্লেখ করেছেন যে প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষার মূল্য নিহিত শিক্ষার্থীদের সাথে সম্পর্কিত প্রশ্নে — যেমন ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য, সমাজের সমস্যা, বা চলমান ঘটনাবলীতে<ref name=":48" />।
প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষার ভিত্তি জঁ পিয়াজের চিন্তায়ও রয়েছে, যিনি মনে করতেন যে শিক্ষার্থীরা পূর্ববর্তী জ্ঞানকে ভিত্তি করে নতুন কিছু শিখে এবং সেই সাথে নতুন সংযোগ তৈরি করে সর্বোত্তমভাবে শিখে। শিক্ষার্থীর বুদ্ধিমত্তা গঠিত হয় তার পরিবেশের উপাদানগুলো আত্মস্থ করে, এবং বিভিন্ন নতুন স্কিমাকে গ্রহণ করে পূর্ব ধারণাকে পরিবর্তন করে<ref>Piaget, Jean; Cook, Margaret (Trans). The construction of reality in the child. New York, NY, US: Basic Books The construction of reality in the child. (1954). xiii 386 pp. http://dx.doi.org/10.1037/11168-000.</ref>। পিয়াজে মনে করতেন, শিক্ষার্থী নিজেরা জ্ঞান আবিষ্কার করতে পারবে, তবে সহযোগিতা ছাড়া তাদের সমাধান সুসংগঠিত হবে না<ref name=":40" />। প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা পিয়াজের এই সম্মিলিত যোগাযোগ ও দলগত শিখনের গুরুত্বকে স্বীকৃতি দেয়।
=== আত্ম-প্রণোদনা শিক্ষার্থীর শেখাকে এগিয়ে নেয় ===
প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা শিক্ষার্থীদের বিভিন্নভাবে উপকার করে যেমন জ্ঞান অর্জন, যোগাযোগ এবং সৃজনশীলতা বৃদ্ধির মাধ্যমে। একটি নির্দিষ্ট চ্যালেঞ্জে যুক্ত হয়ে শিক্ষার্থীরা গভীরভাবে বিষয়বস্তু অনুধাবন করে। এছাড়া, সহযোগিতামূলক শিক্ষার কারণে যোগাযোগ, নেতৃত্ব এবং সামাজিক দক্ষতা বাড়ে। শিক্ষার্থীরা বিষয়বস্তু দীর্ঘ সময় ধরে মনে রাখতে পারে এবং কী শিখছে তা ভালোভাবে বোঝে। প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষাকে সমর্থন করার জন্য কমপক্ষে চারটি জ্ঞানতাত্ত্বিক ক্ষেত্র আছে<ref name=":37" /> – প্রণোদনা, দক্ষতা, প্রাসঙ্গিকতা, এবং প্রযুক্তি।
[[চিত্র:Ashs-impact_projects.ogv|থাম্ব|শিক্ষার্থীরা তাদের প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষার মডেল নিয়ে প্রেরণার কথা বলছে]]
শিক্ষার্থী যদি কোনো বিষয়ের শিখন ও পারদর্শিতার উপর ভিত্তি করে প্রণোদিত হয়, তাহলে তারা দীর্ঘস্থায়ীভাবে তাদের কাজের সাথে যুক্ত থাকে<ref>Ames, C. (1992). Classrooms: goals, structures, and student motivation. Journal of Educational Psychology, 84, 261-271.</ref>। তাই, প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা প্রতিযোগিতার পরিবর্তে সহযোগিতামূলক লক্ষ্য নির্ধারণ করে। এটিতে ব্যক্তিগত শিক্ষার্থীরা হুমকির সম্মুখীন না হয় এবং শেখায় মনোনিবেশ করতে পারে<ref name=":37" />। প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা শিক্ষার্থীদের এমনভাবে পরিকল্পনা করে যাতে তারা একসাথে লক্ষ্য অর্জন করতে পারে, ভয় বা সমালোচনার ভীতি ছাড়াই। উদাহরণস্বরূপ, হেল্লে প্রমুখ একটি গবেষণায় তথ্য ব্যবস্থা নকশা বিষয়ে শিক্ষার্থীদের সাত মাসব্যাপী একটি প্রকল্পে কাজ করতে দেন। শিক্ষার্থীদের একটি প্রশ্নপত্রের মাধ্যমে তাদের প্রেরণার মাত্রা পরিমাপ করা হয়। গবেষণায় দেখা যায় প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে অন্তর্নিহিত প্রেরণা ০.৫২ স্ট্যান্ডার্ড ডেভিয়েশন বৃদ্ধি পেয়েছে। এটি ইঙ্গিত দেয় প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষার্থীরা আত্মপ্রণোদনার মাধ্যমে কাজ সম্পন্ন করে। বিশেষভাবে। এটিদের আত্মনিয়ন্ত্রণ কম ছিল তাদের মধ্যে প্রেরণা আরও বেশি বেড়েছে<ref>Helle, Laura, Paivi Tynjara, Erkki Olkinora, Kristi Lonka. (2007). “Aint nothin’ like the real thing”. Motivation and study processes on a work-based project course in information systems design. ''British Journal of Educational Psychology,'' 70(2), 397-411.</ref>।
অনেক শিক্ষার্থীর মাঝে মেটাকগনিশন ও আত্মনিয়ন্ত্রণের অভাব রয়েছে, অথচ শিক্ষার্থীদের বিকাশে এই দক্ষতাগুলোর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে<ref name=":37" />। প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষায় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর সম্পর্কের মাধ্যমে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের উচ্চতর অনুসন্ধান পদ্ধতির মডেল হিসেবে ব্যবহার করে স্ক্যাফোল্ডিং প্রয়োগ করতে পারেন, ফলে মধ্যম ও উচ্চতর শ্রেণির শিক্ষার্থীরা অর্থপূর্ণ শিক্ষা ও পরিপক্ব ফলাফল দিতে সক্ষম হয়<ref name=":49">Joseph Krajcik , Phyllis C. Blumenfeld , Ronald W. Marx , Kristin M. Bass , Jennifer Fredricks & Elliot Soloway (1998) Inquiry in Project-Based Science Classrooms: Initial Attempts by Middle School Students, Journal of the Learning Sciences, 7:3-4, 313-350, DOI: 10.1080/10508406.1998.9672057</ref>। শিক্ষার্থীরা ধীরে ধীরে নিজেদের তৈরি করা দক্ষতার উপর বিশেষজ্ঞে পরিণত হয়।
প্রাসঙ্গিকভাবে, বাস্তব পরিস্থিতির সঙ্গে যত বেশি সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়, ততই পরিবেষ্টিত জ্ঞান কার্যকর হয়<ref name=":372" />। সেই দৃষ্টিকোণ থেকে প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা শিক্ষার্থীদের আত্মবিশ্বাস বাড়ায় যাতে তারা বিদ্যালয়ের বাইরেও অনুরূপ কাজ সফলভাবে করতে পারে, কারণ তারা বিষয়বস্তুকে জ্ঞানের কৃত্রিম সীমানা হিসেবে আর দেখে না। গর্জেস এবং গোকে (২০১৫) একটি অনলাইন জরিপের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের প্রধান প্রধান বিষয়গুলোর দক্ষতার আত্ম-উপলব্ধি এবং বাস্তব জীবনে তা প্রয়োগ করার সম্পর্কটি অনুসন্ধান করেন। শিক্ষার্থীরা সমস্যা সমাধানের দক্ষতা এবং তা বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করার বিষয়ে আত্মবিশ্বাস দেখিয়েছে, যেমন গর্জেস এবং গোকে<ref name=":41">Gorges, Julia, Thomas Goke. (2015). How do I Know what I can do? Anticipating expectancy of success regarding novel academic tasks. ''British Journal of Educational Psyschology,'' 85(1), 75-90.</ref> উল্লেখ করেন। যারা প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা অনুসরণ করেছে, তাদের আত্ম-দক্ষতা এবং গণিত (এসডি .৭৭), ইতিহাস (এসডি .৭২) ইত্যাদি বিষয়গুলোতে দক্ষতা সম্পর্কে আত্ম-ধারণা বৃদ্ধি পেয়েছে<ref name=":41" />। তাই শিক্ষার্থীরা শিক্ষাবহির্ভূত পরিবেশেও বিষয়ভিত্তিক জ্ঞান প্রয়োগে বেশি আত্মবিশ্বাসী হয়। এছাড়া, কোর্স শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এবং ১২ সপ্তাহ থেকে ২ বছরের মধ্যে শিক্ষার্থীদের তুলনায় প্রাপ্ত ফলাফল থেকে বোঝা যায়, প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা জ্ঞান ধরে রাখতে অনেক বেশি সহায়ক<ref name=":41" />।
প্রযুক্তির ব্যবহার শিক্ষার্থীদের একটি বেশি বাস্তব অভিজ্ঞতা দেয়, কারণ এতে ডেটা, ব্যাপক ইন্টারঅ্যাকশন এবং সহযোগিতা থাকে, এবং বাস্তব দুনিয়ায় ব্যবহৃত সামগ্রীর অনুকরণ করে<ref name=":372" />। প্রযুক্তির মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা থেকে আরও বেশি উপকার পায়, কারণ এতে জ্ঞান অনুসন্ধানে স্বায়ত্তশাসন এবং দলের সদস্যদের সঙ্গে সংযোগ তৈরি হয়। শিক্ষার্থীরা সৃজনশীল হয়, কারণ তাদের প্রকৃত সমস্যার জন্য নতুন নতুন সমাধান বের করতে হয়। উদাহরণস্বরূপ, হাং ও হোয়াং-এর মতে<ref>Hung, C.-M., Hwang, G.-J., & Huang, I. (2012). A Project-based Digital Storytelling Approach for Improving Students' Learning Motivation, Problem-Solving Competence and Learning Achievement. ''Educational Technology & Society'', 15 (4), 368–379. </ref>, প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা-এর আওতায় ডিজিটাল স্টোরিটেলিং ব্যবহার করে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গ্লোবাল ওয়ার্মিং বিষয়ে একটি নির্দিষ্ট প্রশ্নের উত্তর খোঁজার জন্য ছবি সংগ্রহ করার কাজ পরীক্ষার ফলাফলে তাৎপর্যপূর্ণ উন্নতি ঘটায় (এসডি ০.৬৪)। শিক্ষার্থীদের জ্ঞান খুঁজে বের করতে সাধারণত বিভিন্ন বিষয়ে পেরিয়ে যেতে হয়, ফলে তারা বহুমাত্রিক জ্ঞান ব্যবহার করে সমস্যার সমাধান তৈরি করে।
=== প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা বাস্তবায়নে শিক্ষকদের প্রাপ্ত চ্যালেঞ্জ ===
এই ধরনের শিক্ষণ পদ্ধতির বিরুদ্ধে প্রধান অভিযোগ হলো, প্রকল্পটি অগোছালো হয়ে যেতে পারে এবং সমস্যা সমাধানের জন্য যথাযথ শ্রেণিকক্ষ সময় নাও থাকতে পারে। অনেক শিক্ষকের মধ্যে প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা উপেক্ষিত হয় কারণ তারা এটি প্রয়োগ করার জন্য প্রশিক্ষণ বা প্রাসঙ্গিক জ্ঞান পায় না। প্রযুক্তির মাধ্যমে কার্যকর মূল্যায়নের জন্য অতিরিক্ত ব্যয় শিক্ষকদের নিরুৎসাহিত করে<ref name=":42">Efstratia, Douladeli. (2014). Experiential education through project based learning. ''Procedia – Social and Behavioral Sciences''. 152, 1256-1260.</ref>। সমালোচকদের মতে, এই তথ্যগুলো বক্তৃতাভিত্তিক পদ্ধতিতেও প্রদান করা যায় এবং ফলাফল ততটাই কার্যকর হতে পারে। এছাড়া, শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষে সময় নষ্ট করতে পারে এবং যদি তারা ক্রমাগত প্রকল্প ও শিক্ষার প্রতি মনোযোগ না দেয়, তবে প্রকল্পটি সফল হবে না। প্রচলিত পদ্ধতিতে শিক্ষা প্রদানকারী শিক্ষকরা প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা-কে চ্যালেঞ্জিং মনে করেন, কারণ এতে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংযোগ রক্ষা এবং সময় ব্যবস্থাপনা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে—যা সকল শিক্ষকের জন্য সহজ নয়<ref name=":42" />। ব্লুমেনফেল্ড প্রমুখ (১৯৯৮) বলেন প্রকৃত সফলতা তখনই আসে, যখন প্রকল্পটি একটি সংগঠিত কাঠামোর মধ্যে হয়। এখানে শিক্ষক মডেলিং, উদাহরণ, কৌশল, নির্দেশিকা প্রদান, কার্যক্রম চলাকালীন প্রতিক্রিয়া এবং কাজ সংশোধনের সুযোগ দেন<ref name=":492" />।
=== শিক্ষার্থীদের সমালোচনামূলক চিন্তনর মাধ্যমে খাঁটি ফলাফলের প্রয়োজন ===
[[চিত্র:Framework_for_21st_Century_Learning.jpg|থাম্ব|একবিংশ শতাব্দীর শিক্ষার কাঠামো]]
প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা বিভিন্ন বিষয়ে প্রযোজ্য, বিশেষ করে একবিংশ শতকের শিক্ষার পুনঃসংজ্ঞায়ন (বিভিন্ন স্তরের, প্রযুক্তিনির্ভর, সহযোগিতামূলক, আন্তঃবিষয়ক) প্রেক্ষাপটে। STEM - Science, Technology, Engineering, Mathematics (বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল, গণিত) একবিংশ শতকের এমন একটি শিক্ষা ক্ষেত্র যেখানে প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা প্রাকৃতিকভাবে বিভিন্ন বিষয়ের মধ্যে সেতুবন্ধন গঠন করে। STEM-এর মূল উদ্দেশ্য হলো মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার চ্যালেঞ্জ এবং প্রকৃত জীবনের দলভিত্তিক জটিল সমস্যা সমাধানে প্রস্তুত করা। স্বাস্থ্য, প্রকৌশল, কম্পিউটার নকশা এবং শিক্ষা সহ অনেক পেশাগত ক্ষেত্র প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা থেকে উপকৃত হতে পারে।
প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জ্ঞান সম্প্রসারণ এবং জটিল পরিস্থিতিতে সফলতা অর্জনের সুযোগ দেয়<ref name=":43">Capraro, R. M., Capraro, M. M., & Morgan, J. (2013). STEM Project-Based Learning: An Integrated Science, Technology, Engineering, and Mathematics (STEM) Approach (2nd Edition). New York, NY: Sense. </ref>। এ ছাড়াও, শিক্ষার্থীরা নিজের শক্তি ও দুর্বলতা সম্পর্কে গভীর উপলব্ধি গড়ে তোলে<ref name=":43" />। ফলাফল হিসেবে একজন শিক্ষার্থী গড়ে ওঠে যে চিন্তাশীল, বিশ্লেষণধর্মী এবং বাস্তব পরিস্থিতিতে তা প্রয়োগে সক্ষম। শিক্ষার্থীর তৈরি চূড়ান্ত পণ্য একটি বাস্তবিক ফলাফল প্রদান করে। এটি দায়িত্বশীলতা এবং প্রকল্পের নির্দেশনা ও সীমাবদ্ধতাকে মান্য করে<ref name=":43" />।
শিক্ষার্থীরা নির্দিষ্ট ফলাফলের দিকে মনোযোগ দেয়, কাজের গণ্ডি বোঝে এবং একটি কার্যকর উপস্থাপনযোগ্য সামগ্রী তৈরি করে। এর মাধ্যমে তারা উচ্চ-প্রযুক্তি, দ্রুতগামী কর্মপরিবেশে কাজ করতে প্রস্তুত হয় যেখানে উদ্ভাবন, সহযোগিতা এবং ফলাফলভিত্তিক কার্যসম্পাদন অপরিহার্য।
প্রযুক্তি এমন একটি ক্ষেত্র যেখানে প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা বাস্তব প্রয়োগে দক্ষতা গড়ে তোলে, ফলে নতুন প্রযুক্তির দ্বারা প্রদত্ত জ্ঞানীয় সরঞ্জামগুলো প্রকল্পে অপরিহার্য হলে তা কার্যকর প্রমাণিত হয়<ref name=":482" />। উদাহরণস্বরূপ, যেসব কম্পিউটার নকশাকাররা পূর্বে থেকে কিছু জ্ঞান রাখেন তারা হয়তো অপারেটিং সিস্টেম ট্রাবলশুট করতে পারেন, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে বিষয়বস্তু কিভাবে একত্রে কাজ করে তা বোঝেন না এবং তাদের দক্ষতা সম্পর্কে ভুল ধারণা থাকে<ref>Gary, Kevin. (2013), Project-Based Learning. ''Computer.'' (Vol 48:9). Tempe: Arizona State. </ref>।
== প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষার একটি উপশ্রেণী হিসেবে নকশা-থিংকিং ==
=== বাস্তব জীবনের সমস্যার সমাধানে ব্যবহারিক নকশার প্রক্রিয়া ব্যবহার ===
[[চিত্র:Design_thinking.png|থাম্ব|নকশা চিন্তন-এ শিক্ষার্থীকে একটি নির্দিষ্ট কাঠামোগত প্রক্রিয়ার মধ্যে কাজ করে একটি নকশা চ্যালেঞ্জ সমাধান করতে হয়]]
''[[চিন্তন ও নির্দেশনা/সমস্যা সমাধান, সমালোচনামূলক চিন্তন ও যুক্তি#glos Design Thinking|নকশা চিন্তন]]'' হলো একটি শিক্ষাদান পদ্ধতি। এটি প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষার একটি শাখা হিসেবে চ্যালেঞ্জভিত্তিক সমস্যা সমাধানের কন্সট্রাকশনিস্ট পদ্ধতিতে শেখানোর উপর ভিত্তি করে তৈরি। এটি এমন একটি শাখার সমন্বয় হিসেবে বোঝা উচিত, যেগুলোর জ্ঞানচর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে নকশা<ref name=":44">Cross, N. (2007). ''Designerly ways of knowing''. Basel, Switzerland: Birkha¨user.</ref>।
নকশা চিন্তনের একটি উদাহরণ হতে পারে, যখন শিক্ষার্থীরা বাস্তব জীবনের কোনো সমস্যার সমাধান খুঁজছে। তবে প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষার চেয়ে এটি একটু ভিন্ন; নকশা চিন্তন শিক্ষার্থীদেরকে একটি নির্দিষ্ট কাঠামোগত প্রক্রিয়ার মধ্যে থেকেই একটি ব্যবহারিক সমাধান তৈরি করতে বলে (চিত্র ৩), যেমন—একটি গ্রামে নিরাপদ পানীয় পানি পৌঁছে দেওয়ার উপায় খুঁজে বের করা। নকশাকাররা সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক দিকগুলো বিবেচনা করবে, তবে তারা এমন একটি কার্যকর প্রোটোটাইপ তৈরি করবে যা বাজারে আনা সম্ভব। ফলে একটি পানির সরবরাহ ব্যবস্থা তৈরি করা যেতে পারে। এটি স্থানীয় উপকরণ, অর্থায়ন এবং নীতিমালার সীমার মধ্যে থেকে কাজ করবে।
এই পদ্ধতিতে সহানুভূতি, সমস্যা সংজ্ঞায়ন, ধারণা তৈরি, প্রোটোটাইপ এবং পরীক্ষা — এই মূলনীতি অনুসরণ করে নকশাের চ্যালেঞ্জ পূরণ করা হয়। এখানে একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য (সমাধান) নিয়ে শুরু করে, নকশার মাধ্যমে সৃজনশীল এবং ব্যবহারিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের ওপর জোর দিয়ে ভবিষ্যতের উন্নত ফলাফল অর্জনের চেষ্টা করা হয়। এটি এমন এক ধরণের চিন্তা প্রক্রিয়া। এখানে সমস্যার সূক্ষ্ম দিকগুলো বিশ্লেষণ করে গোপন উপাদানগুলো খুঁজে বের করা হয় একটি কার্যকর সমাধানের জন্য। অর্জিত লক্ষ্য তখন পরবর্তী লক্ষ্য নির্ধারণ ও সমস্যা সমাধানের জন্য প্রাথমিক ভিত্তি হিসেবে কাজ করে<ref name=":44" />।
[[চিত্র:DesignThinking.ogv|থাম্ব|নকশা চিন্তন - ''শিশুদের ব্যায়ামে উৎসাহ দিতে একটি মুভমেন্ট সেন্সর ডিভাইস নকশা'' করার উদাহরণ]]
এই ধরণের শিক্ষাগত পদ্ধতির ভিত্তি হলো, আধুনিক বিশ্ব আসলে কৃত্রিম গঠনে পূর্ণ, এবং আমাদের সভ্যতা ঐতিহাসিকভাবে এই ধরনের কৃত্রিম জিনিসের ওপর নির্ভর করে প্রযুক্তিগত অগ্রগতি অর্জন করেছে। নকশা চিন্তনের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা হারবার্ট সাইমন বলেন, আজকের শিক্ষার্থীদের ঘেরা বিশ্ব প্রাকৃতিক জগতের চেয়ে অনেক বেশি কৃত্রিম<ref>Simon, H. A. (1996). ''The sciences of the artificial''. Cambridge, MA: MIT Press.</ref>। নকশা চিন্তনের চ্যালেঞ্জ হলো শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল চিন্তাভাবনার ক্ষমতা বাড়িয়ে উদ্ভাবনী দক্ষতা গড়ে তোলা<ref>Aflatoony, Leila & Ron Wakkary, (2015). ''Thoughtful Thinkers: Secondary Schooler’s Learning about Design Thinking.'' Simon Fraser University: Surrey, BC.</ref>।
নকশা চিন্তন একটি টুল হিসেবে ব্যবহৃত হয় প্রচলিত শিক্ষামূলক প্রকল্পগুলোকে প্রকল্প ভিত্তিক চিন্তার কাঠামোয় রূপান্তর করতে। ভ্যান মেরিয়েনবোয়ার (২০০৪) পুরো কাজ অনুশীলনের জন্য নকশা শেখাকে একটি কাঠামো হিসেবে দেখেছেন। এটি শিক্ষার্থীদের জন্য অন্তর্নিহিত জ্ঞানীয় চাপ কমায় এবং তারা সহজ উদাহরণের মাধ্যমে অনুশীলন করতে পারে<ref name=":402" />। এজন্যই নকশা চিন্তন বর্তমানে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে, কারণ এটি শিক্ষার্থীর জানা ও শেখার মধ্যে সেতুবন্ধন গড়ে তোলে যা একবিংশ শতাব্দীর দক্ষতা অর্জনের প্রেক্ষাপটে গুরুত্বপূর্ণ। এই প্রক্রিয়ার একটি আরেকটি উদাহরণ হলো এমন একটি পণ্য নকশা করা। এটি শিশুদের শারীরিক কার্যকলাপ বাড়াতে সহায়তা করবে (উপরে উল্লিখিত ভিডিওটি দেখুন)। নিচে নকশা চিন্তনের কাঠামো ব্যবহার করে তা ব্যাখ্যা করা হয়েছে:
{| border="1"
|+'<nowiki/>'''''নকশা চিন্তনের উদাহরণ - শিশুদের ব্যায়ামে উৎসাহ দিতে একটি মুভমেন্ট সেন্সর ডিভাইস তৈরি''''''
!নকশা ধাপ
!ফলাফল
|-
|[[চিত্র:Empathy_-_Design_Thinking.png|কেন্দ্র|ফ্রেমহীন|113x113পিক্সেল]]
|'''মানুষদের থেকে শেখা''' - "কিভাবে একটি মুভমেন্ট সেন্সর ডিভাইস ব্যবহারে আগ্রহ সৃষ্টি করা যায়?" যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে শিশুদের তাদের পছন্দ, অভ্যাস, বিরক্তির কারণ জানাতে বলা হয়। গড়পড়তা শিশুদের পাশাপাশি অতিমাত্রায় সক্রিয় এবং অতি নির্জীব শিশুদেরও সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়। এই চরমপন্থী শিশুরা সাধারণ শিশুদের চাহিদা আরও ভালোভাবে ব্যাখ্যা করতে সক্ষম।
|-
|[[চিত্র:Define_-_Design_Thinking.png|কেন্দ্র|ফ্রেমহীন|111x111পিক্সেল]]
|'''ধরন খোঁজা''' - সাক্ষাৎকারের ফলাফল পোস্ট-ইট নোটে লিখে সংগঠিত করা হয়। এমন ধরন খোঁজা হয় যা সুযোগ তৈরি করে। কেউ কেউ বলেছে তারা খেলাধুলার সময় সামাজিক হতে চায়, আবার কেউ বলেছে তারা ব্যায়ামের সময় অন্যদের সাথে কথা বলতে পছন্দ করে।
|-
|[[চিত্র:Ideate_-_Design_Thinking.png|কেন্দ্র|ফ্রেমহীন|111x111পিক্সেল]]
|'''নকশা নীতিমালা''' - গবেষণার মাধ্যমে কিছু নির্দিষ্ট নকশা নীতিমালা তৈরি করা হয়েছে, যেমন—"সব সময় সামাজিক মিথস্ক্রিয়া সহজ করা", "প্রথমেই পুরস্কার বৃদ্ধি করে অংশগ্রহণ বাড়ানো", "শুধু শিশু নয়, পারিবারিকভাবে সক্রিয় হওয়ার প্রেরণা দেওয়া", "বাড়িতে থাকা শিশুদের প্রতি বিশেষ নজর দেওয়া"। এই নীতিমালাগুলো প্রোটোটাইপ নকশাের দিকনির্দেশনা হিসেবে কাজ করে।
|-
|[[চিত্র:Prototype_-_Design_Thinking.png|কেন্দ্র|ফ্রেমহীন|111x111পিক্সেল]]
|'''বাস্তব রূপ দেওয়া''' - এই নীতিমালাগুলো কিভাবে একটি ব্যবহারযোগ্য পণ্যে রূপান্তর করা যায়? এই নীতিমালার ভিত্তিতে প্রোটোটাইপ তৈরি করা হয়।
|-
|[[চিত্র:Test_-_Design_Thinking.png|কেন্দ্র|ফ্রেমহীন|111x111পিক্সেল]]
|'''পুনরাবৃত্তি করা''' - কাগজ-কলমে ইলেকট্রনিক ডিভাইসের ইন্টারফেসের মকআপ তৈরি করা হয় এবং শক্ত কাগজ ও টেপ ব্যবহার করে যন্ত্র তৈরি করা হয়। শিশুদের জন্য ডিজিটাল ও বাস্তব মডেল তৈরি করে তা পরীক্ষা ও মতামত নেওয়া হয়। চূড়ান্ত ফলাফল হয় একটি পরিশোধিত মডেল। এটি এই প্রতিক্রিয়ার ভিত্তিতে তৈরি।
|}
=== কৃত্রিম জগতে নকশা নিয়ে সমালোচনামূলক চিন্তা ===
নকশা চিন্তনের ইতিহাস নির্দিষ্ট কিছু পণ্ডিতের মাধ্যমে চিহ্নিত করা যায়, যেমন হারবার্ট সাইমন, ডোনাল্ড শন এবং নাইজেল ক্রস। সাইমন ১৯৬৯ সালে শিক্ষার জগতে পেশাগত ফাঁক নিয়ে তার গবেষণা প্রকাশ করেন। তিনি লক্ষ্য করেন, প্রাকৃতিক বিজ্ঞানের মতো, কৃত্রিম জগতে জটিল বিষয়গুলোর সরলতা উদঘাটন করাও বিজ্ঞানীদের মতোই প্রয়োজন<ref name=":45">Koh, Joyce Hwee Ling, Chin Sing Chai, Benjamin Wong, & Huang-Yao Hong. (2015) ''Design Thinking for Education.'' Singapore: Springer Science + Business Media.</ref>। এর মধ্যে শুধু বিজ্ঞান নয়, কলা ও মানববিদ্যার প্রক্রিয়াও অন্তর্ভুক্ত হওয়া উচিত, কারণ সঙ্গীতের মধ্যেও গণিতের মতো কাঠামোগত প্যাটার্ন আছে (সাইমন, ১৩৬)। তাই সবার সৃজনশীল নকশা একটি সাধারণ ভাষা ও তার প্রয়োগের ওপর ভিত্তি করে।
ডোনাল্ড শন, যিনি এমআইটি-তে আরবান প্ল্যানিং ও শিক্ষার ফোর্ড অধ্যাপক ছিলেন, নকশা চিন্তন-কে একটি শিল্প এবং অন্তর্জ্ঞানভিত্তিক সমস্যা সমাধানের প্রক্রিয়া হিসেবে বর্ণনা করেন<ref name=":46">Schon, D. A. (1983). ''The reflective practitioner: How professionals think in action'' (Vol. 5126). New York, NY: Basic Books.</ref>। শন উপলব্ধি করেন যে নকশা প্রক্রিয়ার একটি অংশ হলো সেই “ক্রিয়ার মধ্যে প্রতিফলন” যা সমালোচনামূলক চিন্তা ও ধারণা তৈরির সময় আবশ্যক। সমস্যা সমাধানের সমাধান কেবল পাঠ্যবইয়ে থাকে না; বরং নকশাকারদের নিজস্ব প্রেক্ষাপট অনুধাবনের ক্ষমতার মধ্যেই তা নিহিত থাকে<ref name=":45" />।
ক্রস এই পূর্ববর্তী ধারণাগুলোকে শিক্ষার প্যাডাগজিতে রূপান্তর করেন এবং বলেন নকশা চিন্তন বিজ্ঞানের পাশাপাশি মানববিদ্যায়ও সাধারণ শিক্ষার অংশ হওয়া উচিত<ref name=":44" />। তিনি মনে করেন, শিক্ষার্থীরা যদি এই চিন্তার পদ্ধতি ব্যবহার করে উৎসাহিত হয়, তবে তাদের নন-ভার্বাল চিন্তা ও যোগাযোগ দক্ষতা উন্নত হবে<ref name=":44" />।
=== বিঘ্ন ঘটানো অর্জন হিসেবে সমালোচনামূলক চিন্তা ===
নকশা চিন্তন একটি নির্দিষ্ট প্রবাহ অনুসরণ করে — তাত্ত্বিক থেকে ব্যবহারিক দিকে। এটি কার্যকর শিক্ষার্থী সমাধান উদ্ভাবনের জন্য নির্দেশিত শিক্ষার ওপর নির্ভর করে এবং শুধু অনুসন্ধানের ওপর নয়, কারণ কেবল অনুসন্ধান দীর্ঘমেয়াদী স্মৃতির সীমা অতিক্রম করতে পারে না বলে মনে করা হয়<ref name=":44" />। নকশা চিন্তন শিক্ষার্থীকে তাদের প্রক্রিয়া সম্পর্কে মেটা-অ্যানালাইসিস করতে বাধ্য করে। সৃজনশীলতা (উদ্ভাবনী চিন্তা) নকশা চিন্তন-এ স্পষ্ট হয়, যখন এটি স্মৃতি উদ্দীপনায় মনোযোগ বিভাজন এবং মনোযোগ কেন্দ্রীকরণের মাধ্যমে উদ্ভাসিত হয়<ref name=":44" />। হু প্রমুখ (২০১০) একটি গবেষণায় চার বছরের একটি নির্দিষ্ট পাঠদান পদ্ধতিতে প্রাথমিক শিক্ষার্থীদেরকে যৌক্তিক চিন্তার মাধ্যমে নকশা প্রকল্পের জন্য ‘ডিসরাপটেড থিংকিং’ প্রয়োগ করতে শেখান। ফলাফল থেকে দেখা যায় যে তাদের চিন্তার ক্ষমতা (এসডি .78) বৃদ্ধি পায় এবং এটি দীর্ঘমেয়াদে শিক্ষাগত সাফল্য বৃদ্ধি করে<ref>Hu, Weiping, Philip Adey, Xiaojuan Jia, Jia Liu, Lei Zhang, Jing Li, Xiaomei Dong. (2010). Effects of a “Learn to Think” Intervention programme on primary school students. ''British Journal of Educational Psychology''. 81(4) 537-557.</ref>। এটি সৃজনশীল প্রক্রিয়ায় বিচ্ছিন্ন ও সমন্বিত চিন্তার ব্যবহার প্রমাণ করে। এটি দীর্ঘমেয়াদি স্মৃতির সঙ্গে সম্পর্কিত উচ্চ পর্যায়ের চিন্তার ইঙ্গিত দেয়। নকশা চিন্তন স্পষ্টভাবে শিক্ষার্থীদের এই ক্ষমতা অর্জনে সহায়তা করে।
=== নকশাকাররা কি বৈজ্ঞানিক নন? ===
নকশা চিন্তনের সমালোচকরা বলেন, নকশা নিজেই কোনো বিজ্ঞান নয় কিংবা কোনো জ্ঞানীয় শেখার পদ্ধতি নয়; এটি অন্তর্জ্ঞানভিত্তিক হওয়ায় অবৈজ্ঞানিক কাজ হিসেবে বিবেচিত। শিক্ষার্থীরা এখানে প্রকৃত জ্ঞানীয় অনুশীলনের (যেমন—বৈজ্ঞানিক যুক্তি প্রয়োগ) মধ্যে থাকে না। তবে ক্রস-এর বিশ্বাস হলো নকশা নিজেই একটি বিজ্ঞান। এটি নিয়মিত ও নির্ভরযোগ্য পদ্ধতিতে অধ্যয়ন করা যায়<ref name=":44" />। এছাড়াও শন বলেন, নকশা চিন্তন-এ তত্ত্ব ও অনুশীলনের মধ্যে সংযোগ রয়েছে। এর ফলে একটি তাত্ত্বিক ধারণা বাস্তব প্রোটোটাইপে রূপান্তরিত হয়<ref name=":46" />। নকশা চিন্তন হলো একটি বৈজ্ঞানিক জ্ঞানীয় অনুশীলন। এর মধ্যে রয়েছে প্রতিফলনমূলক অনুশীলন ও মেটা-চিন্তা। এই পদ্ধতি সেই প্রাকৃতিক ব্যবধান পূরণ করে। এটি তত্ত্ব ও বাস্তবতার মধ্যে দেখা যায়, এবং শিক্ষার্থীকে প্রচলিত পাঠ্যবইয়ের সীমা অতিক্রম করে নতুন কিছু করার সুযোগ দেয়। নকশা চিন্তন ক্লায়েন্ট বা বিশেষজ্ঞদের অনুমানভিত্তিক প্রতিক্রিয়ার পরিবর্তে এমন ফর্মে রূপ নেয় যা অপ্রত্যাশিত হতে পারে<ref name=":46" />।
=== একবিংশ শতাব্দীর শিক্ষার্থী ও বিচিত্র চিন্তার প্রয়োজন ===
নকশা চিন্তন একবিংশ শতাব্দীর প্রযুক্তি-ভিত্তিক দক্ষতার জন্য উপযুক্ত। এটি মূলত প্রযুক্তির প্রয়োগের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল ও সমালোচনামূলক দক্ষতা গড়ে তুলতে সহায়তা করে। নকশা হলো একটি আলাদা ধরনের চিন্তা। এটি একটি নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য পূরণের জন্য গুণগত সম্পর্ক তৈরি করে<ref name=":47">Wells, Alastair. (2013). The importance of design thinking for technological literacy: a phenomenological perspective''.'' ''International Journal Technol Des Educ.'' (23:623-636). DOI 10.1007/s10798-012-9207-7.</ref>। আরও স্পষ্ট করে বললে, এক বিশ্ব যা দ্রুত প্রযুক্তিনির্ভর হয়ে উঠছে, নকশা চিন্তন শিক্ষার্থীদের ‘অনুভবে নির্ভর করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ’, সূক্ষ্মতা বোঝার ক্ষমতা এবং তাদের কাজের পরিণতি মূল্যায়নের সক্ষমতা তৈরি করে<ref name=":47" />। নকশাকারকে প্রচলিত সমাধানের বাইরে চিন্তা করতে হয় এবং বর্তমান প্রযুক্তি ব্যবহার করতে জানতে হয়।
সুতরাং, নকশা চিন্তন ব্যবহারকারী শিক্ষার্থীরা প্রযুক্তির সমস্ত রূপকে সম্ভাব্য সমাধানের একটি প্রয়োগ হিসেবে বিবেচনা করে এগিয়ে যাচ্ছে। প্রোটোটাইপ তৈরি কেবল হার্ডওয়্যার প্রয়োগেই সীমাবদ্ধ নয়, এর মধ্যে সফটওয়্যার ব্যবহারের কথাও অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। অগমেন্টেড রিয়ালিটি এবং ভার্চুয়াল রিয়ালিটির মতো সর্বাধুনিক প্রযুক্তিও নকশা চ্যালেঞ্জের সমাধান হিসেবে গ্রহণযোগ্য হতে পারে।
ফলে, নকশা চিন্তনের নির্দিষ্ট প্রয়োগ সেইসব অধ্যয়নের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, যেগুলো প্রযুক্তিগত অভিযোজন এবং উদ্ভাবনের প্রয়োজন। বিশেষভাবে, K-12 BC নতুন পাঠ্যক্রম (২০১৬) তে ফলিত নকশা, দক্ষতা এবং প্রযুক্তির উপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। এখানে প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে তাদের পুরো শিক্ষাজীবন জুড়ে নকশা চিন্তনের জ্ঞান থাকা এবং প্রযুক্তির অগ্রগতির জন্য এর প্রয়োগ থাকা জরুরি। সুতরাং, নকশা চিন্তন শিক্ষার্থীদের সমালোচনামূলক চিন্তার প্রক্রিয়ায় সম্পৃক্ত করার জন্য একটি প্রাসঙ্গিক ও অপরিহার্য উপাদান।
= যুক্তি =
যুক্তি প্রদান একটি প্রক্রিয়া। এর মাধ্যমে কোনো ধারণার পক্ষে বা বিপক্ষে যুক্তি সংগঠিত ও উপস্থাপন করা হয়; অর্থাৎ এটি যুক্তি তৈরি ও প্রদর্শনের একটি কাজ। স্পষ্ট যোগাযোগের পাশাপাশি সমালোচনামূলক চিন্তা একটি ভাল যুক্তির উপাদান। এটি এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে একজন ব্যক্তি যুক্তিসঙ্গতভাবে সমস্যা, বিষয় ও বিরোধের সমাধান করে এবং প্রশ্নগুলোর সমাধান খোঁজে <ref name="jonassen">Jonassen, D.H., & Kim, B. (2010). Arguing to learn ad learning to argue: design justifications and guidelines. Education Technology & Research Development, 58(4), 439-457. DOI 10.1007/s11423-009-9143-8.</ref>।
যুক্তি প্রদানের চর্চায় দুটি মাত্রা রয়েছে: সংলাপ এবং কাঠামো <ref name="macagno">Macagno, F., Mayweg-Paus, W., & Kuhn, D. (2014). Argumentation theory in Education Studies: Coding and Improving Students’ Argumentative Strategies. Topoi, 34, 523-537.</ref>। যুক্তিতর্কপূর্ণ আলোচনায় সংলাপ নির্দিষ্ট ভাষিক কার্যক্রমের উপর ভিত্তি করে – যেমন গ্রহণ, প্রত্যাখ্যান, খণ্ডন ইত্যাদি। এটি বক্তার অবস্থানকে এগিয়ে নিতে সাহায্য করে। একটি যুক্তির কাঠামো আলোচনার বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গিকে আলাদা করে এবং বক্তারা যেসব অবস্থানের পক্ষে যুক্তি দিচ্ছেন তা স্পষ্ট করে <ref name="macagno" />।
== শিক্ষকেরা প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষার বাস্তবায়নে চ্যালেঞ্জ অনুভব করেন ==
এই ধরনের শিক্ষার বিরুদ্ধে একটি প্রধান যুক্তি হলো প্রকল্পটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে পড়তে পারে এবং শ্রেণিকক্ষে যথাযথ সময় না পাওয়ায় কার্যকর সমাধান তৈরির সুযোগ নাও থাকতে পারে। শিক্ষকেরা নিজেরাই প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষারকে গুরুত্ব দেন না কারণ এর বাস্তবায়নে তাদের প্রশিক্ষণ ও প্রয়োজনীয় পটভূমিগত জ্ঞান নেই। প্রযুক্তির মাধ্যমে কার্যকর মূল্যায়ন দিতে আর্থিক সীমাবদ্ধতাও শিক্ষকদের নিরুৎসাহিত করে (এফস্ট্রাটিয়া, ২০১৪, পৃষ্ঠা ১২৫৮)। শিক্ষার্থীরা যে তথ্য অর্জন করে তা বক্তৃতাভিত্তিক শিক্ষা দিয়েও প্রদান করা যায় এবং সমালোচকদের মতে তেমনটাই কার্যকর। তদুপরি, ঝুঁকি হলো শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষে সময় অপচয় করে এবং যদি তারা নিয়মিতভাবে কাজ ও শিক্ষাসংক্রান্ত বিষয়ে মনোযোগী না থাকে, তবে প্রকল্পটি সফল হবে না। প্রচলিত শিক্ষাপদ্ধতির শিক্ষকেরা মনে করেন, প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা শিক্ষার্থীদের বিষয়বস্তুর সাথে সংযোগ রক্ষা এবং সময় ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব শিক্ষকের উপর ফেলে। এটি সকল শিক্ষক রপ্ত করতে পারেন, এমন কোনো শিক্ষাদান পদ্ধতি নয় যা (এফস্ট্রাটিয়া, ২০১৪, পৃষ্ঠা ১২৫৮)।
== সমালোচনামূলক চিন্তার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের আসল ফলাফলের প্রয়োজন ==
প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা বিভিন্ন বিষয়ে প্রযোজ্য কারণ এর রয়েছে শিক্ষায় বহু প্রয়োগ এবং এটি একবিংশ শতাব্দীর শিক্ষার পুনঃসংজ্ঞায়নের (বিভিন্নীকরণ, প্রযুক্তিনির্ভরতা, সহযোগিতা, আন্তঃবিষয়কতা) সঙ্গে বিশেষভাবে প্রাসঙ্গিক। STEM (বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল, গণিত) হলো এমন একটি একবিংশ শতাব্দীর শিক্ষা পদ্ধতি যা প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা ব্যবহারকারী শিক্ষকদের কাছ থেকে উপকৃত হয় কারণ এটি স্বাভাবিকভাবেই বিভিন্ন ক্ষেত্রের মধ্যে সেতুবন্ধ তৈরি করে। STEM এর লক্ষ্য হলো মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার জন্য প্রস্তুত করা এবং তারা যেন বাস্তব জীবনের কাজের জগতে দলবদ্ধভাবে জটিল সমস্যা সমাধান করতে সক্ষম হয়। চিকিৎসা, প্রকৌশল, কম্পিউটার নকশা ও শিক্ষা সহ অনেক সম্ভাব্য পেশা প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা থেকে উপকৃত হতে পারে।
প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের তাদের জ্ঞান বিস্তারের সুযোগ দেয় এবং উচ্চ-চাপের পরিস্থিতিতে সাফল্য অর্জনের পথ তৈরি করে (ক্যাপ্রারো, প্রমুখ, ২০১৩, পৃষ্ঠা ২)। উপরন্তু, এই শিক্ষার্থীরাই তাদের শক্তি ও সীমাবদ্ধতার প্রতি আত্মবিশ্লেষণমূলক দৃষ্টিভঙ্গি অর্জন করে (ক্যাপ্রারো, প্রমুখ, ২০১৩, পৃষ্ঠা ২)। ফলাফল হলো এমন এক শিক্ষার্থী যে সমালোচনামূলক চিন্তায় দক্ষ এবং বাস্তব পরিস্থিতিতে তা প্রয়োগ করার সুযোগ পেয়েছে। উপরন্তু, একটি সমাপ্ত পণ্য নির্মাণ শেখার আসল ফলাফলের উপস্থাপনার একটি বাস্তব প্রত্যাশা। এই পণ্যের ফলাফল দায়বদ্ধতা দাবি করে এবং শিক্ষকের প্রত্যাশা ও প্রকল্পের সীমাবদ্ধতার প্রতি শিক্ষার্থীর অনুগত্য দেখায় (ক্যাপ্রারো, প্রমুখ, ২০১৩, পৃষ্ঠা ২)। শিক্ষার্থী নির্দিষ্ট ফলাফলের উপর মনোযোগ দেয়, কাজের পরিসীমা বোঝে এবং একটি কার্যকর বস্তু উপস্থাপন করে। এর তাৎপর্য হলো শিক্ষার্থীরা উচ্চ-প্রযুক্তিসম্পন্ন, দ্রুতগামী কর্মপরিবেশের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকবে যেখানে উদ্ভাবন, সহযোগিতা এবং ফলাফলের ভিত্তিতে তৈরি পণ্যই সফলতার মূল।
প্রযুক্তি এমন একটি ক্ষেত্র যেখানে প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা ব্যবহার করে বাস্তব জগতে প্রয়োগযোগ্য দক্ষতা গড়ে তোলা যায়। উদাহরণস্বরূপ, কম্পিউটার সিস্টেম নকশাকাররা পূর্বের জ্ঞান থাকায় হয়তো একটি অপারেটিং সিস্টেমের ত্রুটি খুঁজে বের করতে পারেন, কিন্তু তারা সত্যিই বোঝেন না কিভাবে বিভিন্ন উপাদান একসাথে কাজ করে, ফলে তারা তাদের দক্ষতা নিয়ে ভুল আত্মবিশ্বাসে ভোগেন (গ্রে, ২০১৩, পৃষ্ঠা ১)।
== বিঘ্নকারী সাফল্য হিসেবে সমালোচনামূলক চিন্তা ==
নকশা চিন্তন একটি নির্দিষ্ট ধারা অনুসরণ করে যা তত্ত্ব থেকে বাস্তবে রূপান্তরিত হয়। এটি কার্যকর শিক্ষার্থী সমাধান প্রচারে নির্দেশিত শিক্ষার উপর নির্ভর করে এবং অনুসন্ধানের সীমা অতিক্রম করে কারণ অনেক গবেষক মনে করেন শুধুমাত্র অনুসন্ধান কার্যকর নয় কারণ এটি দীর্ঘমেয়াদী স্মৃতির সীমা অতিক্রম করে (ল্যাজোন্ডার এবং হার্মসেন, ২০১৬, পৃষ্ঠা ২)। নকশা চিন্তন শিক্ষার্থীকে তাদের প্রক্রিয়ার উপর মেটা-অ্যানালাইসিস করতে উৎসাহিত করে। সৃজনশীলতা (উদ্ভাবনী চিন্তা) নকশা চিন্তনে স্পষ্ট হয়। এটি মনোযোগের বিস্তার এবং মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করার মাধ্যমে স্মৃতিকে উদ্দীপিত করে (গোল্ডস্মিট, ২০১৬, পৃষ্ঠা ১)। হু প্রমুখ (২০১০) একটি প্রক্রিয়া তৈরি করেন যাতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নির্দিষ্ট নকশা প্রকল্পের প্রতি যৌক্তিক সমালোচনামূলক চিন্তা প্রয়োগ করে, নির্দিষ্ট পাঠ পদ্ধতির মাধ্যমে চার বছরের সময়কালে। গবেষণার ফলাফল দেখায়, এই শিক্ষার্থীদের চিন্তার ক্ষমতা (এসডি .78) বৃদ্ধি পায় এবং এই প্রভাব দীর্ঘমেয়াদে অ্যাকাডেমিক সাফল্য বৃদ্ধিতে সহায়ক হয় (হু, প্রমুখ। ২০১০, পৃষ্ঠা ৫৫৪)। এটি সৃজনশীল প্রক্রিয়ায় বিচিত্র ও সঙ্কলিত চিন্তার ব্যবহার নির্দেশ করে এবং এই দুই ধরনের চিন্তা সৃজনশীলতায় গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করা হয়েছে (গোল্ডস্মিট, ২০১৬, পৃষ্ঠা ২)। এটি উচ্চ স্তরের চিন্তার প্রতিফলন এবং দীর্ঘমেয়াদী স্মৃতির সাথে সংশ্লিষ্ট। নকশা চিন্তন বিশেষভাবে শিক্ষার্থীদের উন্নয়নে সক্ষমতা প্রদর্শন করে।
== যুক্তি প্রদানের প্রক্রিয়া ==
=== যুক্তির স্তরসমূহ ===
মানসিক প্রক্রিয়া যা একজনকে যুক্তি তৈরি, বিশ্লেষণ ও মূল্যায়নে সক্ষম করে <ref name="horn">Hornikx, J., & Hahn, U. (2012). Reasoning and argumentation: Towards an integrated psychology of argumentation. Thinking & Reasoning, 18(3), 225-243. DOI: 10.1080/13546783.2012.674715.</ref>। এই স্তরগুলো এই অধ্যায়ে পরে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হবে।
{| class="wikitable"
|১. '''উৎপাদন'''
|কীভাবে কেউ একটি দৃষ্টিভঙ্গি, মতামত বা দাবির পক্ষে যুক্তি তৈরি করে।
|-
|২. '''বিশ্লেষণ'''
|প্রস্তাবিত যুক্তিগুলোর বৈধতা মূল্যায়ন।
|-
|৩. '''মূল্যায়ন'''
|একটি যুক্তির বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি অনুসন্ধান।
|}
== শিক্ষায় যুক্তি প্রদানের প্রভাব ==
যুক্তি প্রদান কেবল সমালোচনামূলক চিন্তা এর বিকাশকে প্রভাবিত করে না, বরং শিক্ষার অন্যান্য দিকেও প্রভাব ফেলে। উদাহরণস্বরূপ, একটি জুনিয়র হাই স্কুলের বিজ্ঞান শ্রেণিতে পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, শিক্ষার্থীরা যুক্তি প্রদানে অংশগ্রহণ করলে তারা তাদের পূর্বজ্ঞান ও অভিজ্ঞতার উপর নির্ভর করে <ref name="aufs">Aufschnaiter, C., Erduran, S., Osborne, J., & Simon, S. (2008). Arguing to learn and learning to argue: Case studies of how students' argumentation relates to their scientific knowledge. Journal of Research in Science Teaching, 45(1), 101-131. doi:10.1002/tea.20213</ref>। কেবল পূর্বজ্ঞান প্রয়োগই নয়, যুক্তি প্রদান শিক্ষার্থীদের জ্ঞানকে একত্রিত করতে এবং বিষয়টির উচ্চতর পর্যায়ে বোঝাপড়া বাড়াতে সাহায্য করে <ref name="aufs" />। এগুলো শিক্ষায় যুক্তি প্রদানের প্রভাবের কয়েকটি উদাহরণ মাত্র।
ভিডিও: শিক্ষায় যুক্তি: https://www.youtube.com/watch?v=YHm5xUZmCDg
= সমালোচনামূলক চিন্তা ও যুক্তির মধ্যে সম্পর্ক =
যুক্তি প্রদান ও সমালোচনামূলক চিন্তা শিক্ষাদানে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কযুক্ত বলে মনে হয়। অনেক গবেষণায় এই দুটি উপাদান একে অপরকে কিভাবে প্রভাবিত করে তা দেখানো হয়েছে। তথ্য উপাত্ত অনুযায়ী, যখন শিক্ষায় সমালোচনামূলক চিন্তা অন্তর্ভুক্ত করা হয়, তখন এটি শিক্ষার্থীদের যুক্তি প্রদানের ক্ষমতাকে প্রভাবিত করে <ref>Bensley, A., Crowe, D., Bernhardt, P., Buckner, C., & Allman, A. (2010). Teaching and assessing CT skills for argument analysis in psychology. Teaching of Psychology, 37(2), 91-96. doi:10.1080/00986281003626656</ref>। যেসব কার্যক্রমে সমালোচনামূলক চিন্তা এবং সৃজনশীল চিন্তা উভয়ের প্রয়োজন, সেগুলোকে যুক্তিকেন্দ্রিক হওয়া উচিত <ref>Glassner, A., & Schwarz, B. B. (2007). What stands and develops between creative and critical thinking? argumentation?. Thinking Skills and Creativity, 2(1), 10-18. doi:10.1016/j.tsc.2006.10.001</ref> এবং যুক্তি বিশ্লেষণ ও গল্প বলার মাধ্যমে সমালোচনামূলক চিন্তা উন্নত করা যায় <ref>Gold J., Holman D., & Thorpe R. (2002). The role of argument analysis and story telling in facilitating critical thinking. Management Learning, 33(3), 371-388. doi:10.1177/1350507602333005</ref>। অর্থাৎ, বলা যায় যে সমালোচনামূলক চিন্তা ও যুক্তি উভয়ই একে অপরের বিকাশকে প্রভাবিত করে এবং শিক্ষার ও জ্ঞানের অন্যান্য ক্ষেত্রেও এদের প্রভাব রয়েছে।
== সমালোচনামূলক চিন্তা কীভাবে যুক্তিকে উন্নত করে ==
সমালোচনামূলক চিন্তা এমন তথ্যের মূল্যায়নে সহায়তা করে যা একটি যুক্তি তৈরির জন্য প্রয়োজন। এটি প্রতিটি অবস্থানের বৈধতা যাচাইয়ে সাহায্য করে। এটি উৎসের বিশ্বাসযোগ্যতা মূল্যায়নে ব্যবহৃত হয় এবং বিষয়টি একাধিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বিশ্লেষণে সহায়তা করে।
সমালোচনামূলক চিন্তা এবং যুক্তির উপাদানগুলোর মধ্যে অনেক সাধারণ বৈশিষ্ট্য রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, একটি বিবৃতির পক্ষে ও বিপক্ষে প্রমাণ পর্যালোচনা করা এবং যেসব তথ্য সেই দাবিগুলোর ভিত্তি গঠন করে, সেগুলো পরীক্ষা করা — এ দুটি ক্ষেত্রই একটি সঠিক যুক্তি তৈরি এবং সমালোচনামূলক চিন্তার অংশ।
এই অংশে উল্লেখিত চারটি সমালোচনামূলক চিন্তা উপাদানের আলোকে সমালোচনামূলক চিন্তা কিভাবে যুক্তি প্রদানের ক্ষমতাকে প্রভাবিত করে, তা বিশ্লেষণ করা হবে। প্রথমত, ব্রুনিং প্রমুখ (২০১১) অনুসারে, জ্ঞানের উপাদান সমস্যার সমাধান প্রক্রিয়াকে সক্রিয়ভাবে প্রভাবিত করে <ref name="bruningrh">Bruning, R. H., Schraw, G. J., & Norby, M. M. (2011). Cognitive psychology and instruction (5th ed.) Pearson.</ref>। সুতরাং, শিক্ষার্থীদের যা নিয়ে তারা যুক্তি দিচ্ছে, সেই বিষয়ে যথাযথ জ্ঞানের ভিত্তি থাকা আবশ্যক। ভালোভাবে প্রতিষ্ঠিত তথ্য ব্যবহার করে নতুন তথ্যের বিশ্বাসযোগ্যতা বিশ্লেষণ করতে পারার ক্ষমতা সেই শিক্ষার্থীদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যারা তাদের যুক্তি প্রদানের দক্ষতা বাড়াতে চায়। দ্বিতীয় উপাদান হলো '''অনুমান'''। চেসেভার এবং সিমারি (২০০৭) তাদের যুক্তি নির্মাণ নিয়ে আলোচনায় যেমনটি উল্লেখ করেছেন, তথ্য থেকে নতুন সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর ক্ষেত্রে '''যুক্তিপূর্ণ অনুমান''' একটি অপরিহার্য উপাদান<ref>Chesñevar, I., & Simari, G. (2007). Modelling inference in argumentation through labelled deduction: Formalization and logical properties. Logica Universalis, 2007, Volume 1, Number 1, Page 93, 1(1), 93-124. doi:10.1007/s11787-006-0005-4</ref>
[[চিত্র:Reasoning.jpg|থাম্ব|উপসংহার ও অনুমান—উভয়ই সমালোচনামূলক চিন্তন এবং যুক্তিবিদ্যায় গুরুত্বপূর্ণ।]]
অর্থাৎ, পূর্বে প্রাপ্ত তথ্য থেকে সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর ক্ষমতা একটি যুক্তির উন্নয়ন এবং তা বিস্তারিতভাবে উপস্থাপনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। একইভাবে, '''অনুমানভিত্তিক চিন্তন'''। এটি সমালোচনামূলক চিন্তনের একটি অংশ, যুক্তির গঠনে গুরুত্বপূর্ণ। বার্নিং ও তার সহকর্মীদের মতে, বিদ্যমান তথ্য থেকে একটি সাধারণ সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতাসমালোচনামূলক চিন্তনপ্রক্রিয়ার একটি অপরিহার্য অংশ<ref name="bruningrh2" />। ওন্টান এবং প্লাজা (২০১৫) যুক্তি দেন যে, অনুমান যোগাযোগের মাধ্যমে যুক্তি গঠনে ব্যবহৃত হতে পারে। তদুপরি, একটি দলের প্রতিটি সদস্যের দেওয়া তথ্য একত্র করে সাধারণ সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর প্রক্রিয়া দেখায় যে, অনুমান কীভাবে যুক্তিতে পারস্পরিক সহযোগিতাকে ফলপ্রসূ করতে পারে<ref>Ontañón, S., & Plaza, E. (2015). Coordinated inductive learning using argumentation-based communication. Autonomous Agents and Multi-Agent Systems, 29(2), 266-304. doi:10.1007/s10458-014-9256-2</ref>। তাই এটি স্পষ্ট যেসমালোচনামূলক চিন্তনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে অনুমান যুক্তি এবং সহযোগিতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।সমালোচনামূলক চিন্তনের শেষ উপাদান। এটি সম্ভবত যুক্তির সাথে সবচেয়ে বেশি সম্পর্কযুক্ত, সেটি হলো '''মূল্যায়ন'''। বার্নিং ও তার সহকর্মীরা মূল্যায়নের উপাদান হিসেবে বিশ্লেষণ, বিচার এবং পরিমাপের কথা বলেন। এই তিনটি উপাদান একটি সফল যুক্তি গঠনের জন্য অপরিহার্য <ref name="bruningrh2" />। হর্নিক্স এবং হ্যান (২০১২) যুক্তি গঠনের তিনটি মূল উপাদানের একটি কাঠামো প্রদান করেন। এটি বার্নিং ও তার সহকর্মীদের উল্লেখিতসমালোচনামূলক চিন্তনের উপাদানের সঙ্গে গভীরভাবে সম্পর্কযুক্ত<ref name="horn2" />।
=== উৎপাদন, বিশ্লেষণ ও মূল্যায়ন ===
হর্নিক্স এবং হ্যান তাদের গবেষণায় যুক্তি গঠনের যে তিনটি দিকের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন, তা হলো '''উৎপাদন''', '''বিশ্লেষণ''' এবং '''মূল্যায়ন'''<ref name="horn2" />। যুক্তি উৎপাদনেসমালোচনামূলক চিন্তনের মূল উপাদানগুলো ব্যবহৃত হয়; এর মধ্যে থাকে মূল্যায়ন, বিশ্লেষণ, বিচার এবং একজন যে যুক্তির ওপর দৃঢ় অবস্থান নিতে চান, সেটির যথার্থতা নির্ণয়। যুক্তির বিশ্লেষণ এবংসমালোচনামূলক চিন্তনবিশ্লেষণ একসাথে চলে, কারণ একটি সফল এবং যথার্থভাবে সমর্থিত যুক্তি গঠনে তথ্য ও মতামতের সমালোচনামূলক বিশ্লেষণ আবশ্যক। একইভাবে, মূল্যায়নও যুক্তি বিশ্লেষণে ব্যবহৃত হয় কারণ এটিসমালোচনামূলক চিন্তনথেকে উদ্ভূত। তথ্যের উৎস এবং নির্ভরযোগ্যতা যাচাই একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটিতে কেউ তথ্যপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। সমালোচনামূলক চিন্তনের মূল্যায়নের চূড়ান্ত দিক হলো মেটাকগনিশন, অর্থাৎ নিজের চিন্তা নিয়ে চিন্তা করা বা নিজস্ব চিন্তাকে মনিটর করা <ref name="bruningrh2" />। নিজের চিন্তা পর্যবেক্ষণ এবং নেওয়া সিদ্ধান্তগুলোর যৌক্তিকতা বুঝে নেওয়া যুক্তি গঠনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। পিন্টু ও তার সহকর্মীদের গবেষণা অনুসারে, যুক্তি দেওয়ার ক্ষমতা এবং মেটাকগনিশনের মধ্যে একটি শক্তিশালী সম্পর্ক রয়েছে<ref>Pinto, M., Iliceto, P., & Melagno, S. (2012). Argumentative abilities in metacognition and in metalinguistics: A study on university students. European Journal of Psychology of Education, 27(1), 35-58. doi:10.1007/s10212-011-0064-7</ref>। অন্যভাবে বললে, একজন ব্যক্তি নিজের চিন্তা ও তার যথার্থতা নিয়ে যত বেশি ভাবতে পারেন, ততই তারা সুসংগঠিত যুক্তি প্রদান করতে সক্ষম হন। চিন্তাকে ভাষায় বা যুক্তিতে রূপান্তরের মাধ্যমে দেখা যায় যে,সমালোচনামূলক চিন্তনযুক্তি গঠনে ব্যাপক প্রভাব রাখে, যদিও কিছু গবেষণা এই সম্পর্কের পারস্পরিকতা নিয়ে বিভিন্ন দিকও তুলে ধরে।
প্রদত্ত গবেষণাগুলোর মাধ্যমে এটি স্পষ্ট হয় যে, জ্ঞ্যান, অনুমান, মূল্যায়ন এবং মেটাকগনিশনের মতো সমালোচনামূলক চিন্তন দক্ষতাগুলো যুক্তি গঠনের ওপর বড় প্রভাব ফেলে। তবে এর পাশাপাশি এটিও উঠে আসে যে, পাঠ্যক্রমেসমালোচনামূলক চিন্তনশেখানোর মাধ্যমে যুক্তি বিশ্লেষণ দক্ষতা বাড়ানো যায়। বেনসলি ও তার সহকর্মীদের (২০১০) একটি গবেষণা ইঙ্গিত দেয় যে, যখন কোনো কোর্সে সরাসরিসমালোচনামূলক চিন্তনশেখানো হয় এবং অন্য দলগুলোকে তা শেখানো না হয়, তখনসমালোচনামূলক চিন্তনশেখা দল যুক্তি বিশ্লেষণের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য উন্নতি করে<ref>Bensley, A., Crowe, D., Bernhardt, P., Buckner, C., & Allman, A. (2010). Teaching and assessing critical thinking skills for argument analysis in psychology. Teaching of Psychology, 37(2), 91-96. doi:10.1080/00986281003626656</ref>। যুক্তি গঠনে সমালোচনামূলক চিন্তন দক্ষতার ভূমিকা নিয়ে অনেক যুক্তি উপস্থাপন করা যায়, তবে এই গবেষণাটি দেখায় যে, সাধারণভাবেসমালোচনামূলক চিন্তনশেখানোর মাধ্যমেও শিক্ষার্থীদের যুক্তি বিশ্লেষণ ক্ষমতা বাড়ানো সম্ভব। যদি শিক্ষকরা শ্রেণিকক্ষে যুক্তি এবংসমালোচনামূলক চিন্তনউভয়ের বিকাশ চান, তাহলে এই বিষয়টি পরবর্তী অধ্যায়ের অংশে বিবেচনায় নেওয়া উচিত।
== কীভাবে যুক্তি গঠন সমালোচনামূলক চিন্তন উন্নত করে ==
যুক্তি গঠনসমালোচনামূলক চিন্তনপ্রক্রিয়ার একটি অংশ, এটি চিন্তার স্বচ্ছতা আনে এবং উপযুক্ত তথ্য বিশ্লেষণের ক্ষমতা বাড়ায়। এটি মেটাকগনিশনের অংশ, কারণ একজনকে নিজের ধারণাগুলোর মূল্যায়ন করতে হয়। সমালোচনামূলক চিন্তন দক্ষতা যেমন অনুমান ও/অথবা যুক্তিপূর্ণ সিদ্ধান্ত ব্যবহৃত হয় একটি সংগঠিত ও স্পষ্ট যুক্তি তৈরি করতে।
[[চিত্র:Toulmin_Argumentation_Example.gif|থাম্ব|Toulmin যুক্তি উদাহরণ—যুক্তি গঠনসমালোচনামূলক চিন্তনপ্রক্রিয়ার একটি অংশ, এটি চিন্তার স্বচ্ছতা আনে এবং উপযুক্ত তথ্য বিশ্লেষণের ক্ষমতা বাড়ায়। সমালোচনামূলক চিন্তন দক্ষতা যেমন অনুমান ও/অথবা যুক্তি ব্যবহৃত হয় একটি সংগঠিত ও স্পষ্ট যুক্তি তৈরি করতে।]]
গ্লাসনার এবং শোয়ার্জ (২০০৭) এর গবেষণায় দেখা যায়, যুক্তি গঠন সমালোচনামূলক এবং সৃজনশীল চিন্তার সংযোগস্থলে অবস্থান করে। তারা যুক্তি দেন যে, কিশোরদের ক্ষেত্রে যুক্তি গঠনের মাধ্যমে চিন্তন হয়। এটি একাধারে সমালোচনামূলক এবং সৃজনশীল। তারা বলেন, চিন্তাভাবনা সবসময়ই অন্যান্য দৃষ্টিভঙ্গি ও তথ্য দ্বারা প্রভাবিত হয়। নতুন তথ্য নিয়ে সৃজনশীল এবং সমালোচনামূলকভাবে চিন্তা করার ক্ষমতা যুক্তি গঠনের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত হয়<ref>Glassner, A., & Schwarz, B. B. (2007). What stands and develops between creative and critical thinking? argumentation?. Thinking Skills and Creativity, 2(1), 10-18. doi:10.1016/j.tsc.2006.10.001</ref>। নতুন তথ্য গ্রহণ, মূল্যায়ন ও তা নিয়ে উদার মনোভাব প্রকাশ—এই পারস্পরিক প্রক্রিয়াকে সমালোচনামূলক ও সৃজনশীল চিন্তার সম্মিলিত কার্যক্রম হিসেবে দেখা যায়। তবে একজন ব্যক্তি যখন নতুন তথ্যের ভিত্তিতে সিদ্ধান্তে পৌঁছায়, তখন সেই সিদ্ধান্তের যৌক্তিকতা নির্ণয় করাই মূল বিষয়। যুক্তি গঠন সমালোচনামূলক চিন্তন দক্ষতাকে বিকাশে সহায়তা করে, এটি স্পষ্ট।
যদিও এটি সত্য যেসমালোচনামূলক চিন্তনযুক্তি গঠনে সরাসরি প্রভাব ফেলে, এই সম্পর্ককে দ্বিমুখী হিসেবেও দেখা যায়। এখানে যুক্তি শেখানো সমালোচনামূলক চিন্তন দক্ষতা তৈরি করে। গোল্ড ও তার সহকর্মীদের একটি গবেষণায় দেখা যায়, যুক্তি বিশ্লেষণ ও গল্প বলার মাধ্যমে সমালোচনামূলক চিন্তন দক্ষতা গড়ে তোলা যায়<ref>Gold J., Holman D., & Thorpe R. (2002). The role of argument analysis and story telling in facilitating critical thinking. Management Learning, 33(3), 371-388. doi:10.1177/1350507602333005</ref>। এই গবেষণাটি প্রমাণ করে যে, যুক্তি বিশ্লেষণ এবং গল্প বলার প্রক্রিয়া কেবল শিক্ষার্থীদের জন্য নয়, বরং প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রেও উপকারী। এই গবেষণায় অংশগ্রহণকারী ছিলেন অভিজ্ঞ ম্যানেজারগণ। গবেষণায়সমালোচনামূলক চিন্তনের চারটি দক্ষতা চিহ্নিত করা হয়েছে যেগুলো যুক্তি বিশ্লেষণ ও গল্প বলার মাধ্যমে উন্নত হতে পারে: বাগ্মিতার সমালোচনা, ঐতিহ্য, কর্তৃত্ব এবং জ্ঞান। এই চারটি দক্ষতা সাধারণত উচ্চবিদ্যালয়ে শেখানো সমালোচনামূলক চিন্তন দক্ষতার চেয়ে গভীরতর, এবং এগুলোর বিকাশ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যুক্তি গঠনসমালোচনামূলক চিন্তনকে এমনভাবে প্রভাবিত করতে পারে। এটি ব্যক্তিকে নিজের মূল্যবোধ ও বিশ্বাস নিয়ে আরও গভীরভাবে চিন্তা করতে সক্ষম করে এবং নতুন তথ্য পেলে তা পুনর্মূল্যায়ন করার সুযোগ দেয়।
উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য যুক্তি গঠনসমালোচনামূলক চিন্তনএবং সৃজনশীল চিন্তার উভয় ক্ষেত্রেই উপকারী। ডেমির এবং ইসলেইন (২০১৫) এর গবেষণায় দেখা যায়, নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে বিজ্ঞান শিক্ষায় যুক্তিভিত্তিক পদ্ধতি প্রয়োগ করলে উভয় ধরনের চিন্তার দক্ষতা বৃদ্ধি পায়<ref>Demir, B., & İsleyen, T. (2015). The effects of argumentation based science learning approach on creative thinking skills of students. Educational Research Quarterly, 39(1), 49-82.</ref>। শিক্ষার্থীরা যখন যুক্তি গঠনের মাধ্যমেসমালোচনামূলক চিন্তনএবং সৃজনশীল চিন্তার বিকাশ ঘটাতে পারে, তখন এটি অত্যন্ত ইতিবাচক ফল দেয়। যেহেতু আগেই বলা হয়েছে যে, সৃজনশীল এবং সমালোচনামূলক চিন্তন দক্ষতা যুক্তির মাধ্যমে চিন্তা করে উপসংহারে পৌঁছায়, তাই শ্রেণিকক্ষে যুক্তি-নির্ভর পাঠদান উভয় ধরনের দক্ষতাই বৃদ্ধি করে। সারসংক্ষেপে বলা যায়, যুক্তি গঠন এবংসমালোচনামূলক চিন্তনএর মধ্যে একটি দৃঢ় সম্পর্ক রয়েছে, এবংসমালোচনামূলক চিন্তনউপশ্রেণির অনেক দক্ষতার সাথেই এদের সম্পর্ক আছে। এই দুটি ধারণার সুনির্দিষ্ট পাঠদান একে অপরের বিকাশে সহায়ক এবং পরিপূরক বলেই প্রতীয়মান। এই অধ্যায়ের পরবর্তী অংশে এই বিষয়গুলো পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্তির উপযোগিতা এবং কীভাবে তারা যৌক্তিক চিন্তন ও জীবনের জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা বৃদ্ধিতে সহায়ক—তা আলোচনা করা হবে।
= যুক্তি ও সমালোচনামূলক চিন্তার পাঠদান =
[[চিত্র:HUJI_Election_Debate_(8361985738).jpg|থাম্ব|বিতর্ক হচ্ছে যুক্তি ওসমালোচনামূলক চিন্তনের একটি ব্যবহারিক প্রয়োগ]]
== শিক্ষণ কৌশল ==
সমালোচনামূলক চিন্তনশেখানোর কার্যকর পদ্ধতি হলো চিন্তার দক্ষতাগুলোকে একটি পরিস্কার এবং ধারাবাহিক ধাপে বিন্যস্ত করা। এই ধাপগুলো শিক্ষার্থীদের তাদের নিজস্ব চিন্তন পদ্ধতি সম্পর্কে সচেতন করে এবং বাস্তব জীবনে তা প্রয়োগের উপযোগিতা শেখায়। যুক্তিপূর্ণ পদ্ধতিতে। এখানে শিক্ষার্থীরা বিস্তৃত ধারণা থেকে শুরু করে নির্দিষ্ট কাজের দিকে অগ্রসর হয়,সমালোচনামূলক চিন্তনের মাধ্যমে পূর্বে জানা কিছু থেকে নতুন কিছু তৈরি করতে পারে।সমালোচনামূলক চিন্তনের চেতনায়, শিক্ষার্থীর নিজের দক্ষতা সম্পর্কে সচেতনতা তাদের শিক্ষায় একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের শুধু ফলাফলের ওপর মনোযোগ না দিয়ে, বরং লক্ষ্য অর্জনের পেছনের চিন্তন প্রক্রিয়া সম্পর্কে ভাবতে উৎসাহিত করা উচিত। এই ধরণের আত্মমূল্যায়নের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা যুক্তির মতো কাজের জন্য প্রয়োজনীয় চিন্তার দক্ষতা সম্পর্কে আরও সচেতন হয়ে উঠতে পারে।
সমালোচনামূলক চিন্তন এবং যুক্তি প্রদানের শিক্ষা দেওয়ার অর্থ হলো প্রথমেই সমালোচনামূলক চিন্তন দক্ষতা ব্যবহারের প্রতি মনোযোগ দেওয়া। সমালোচনামূলক চিন্তা শেখানোর জন্য একটি পরিকল্পনা তৈরির সময়, একজনকে বিভিন্ন পদ্ধতি মূল্যায়ন ও বিশ্লেষণ করে তথ্যভিত্তিক সিদ্ধান্ত নিতে হয় যে কোনটি তার শ্রেণির জন্য সবচেয়ে উপযোগী হবে। সমালোচনামূলক চিন্তা শেখানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের পন্থা রয়েছে। ''বর্ণনামূলক মডেলগুলো'' বোঝায় কীভাবে "ভালো" চিন্তাভাবনা কাজ করে। এটি বিশেষভাবে মনোযোগ দেয় এমন চিন্তন কৌশলের উপর, যেমন হিউরিস্টিক্স যা তথ্য মূল্যায়ন ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে সাহায্য করে। অন্যদিকে, ''নির্দেশনামূলক মডেলগুলো'' বোঝায় কী হওয়া উচিত একটি ভালো চিন্তার ধরণ। এক অর্থে, এই মডেলগুলো একটি প্রোটোটাইপ বা “নির্দেশনা” দেয় ভালো চিন্তা কী হওয়া উচিত। এই পদ্ধতিটি তুলনামূলকভাবে কম প্রয়োগযোগ্য এবং উচ্চতর স্তরের চিন্তাভাবনার জন্য একটি উচ্চ মানদণ্ড স্থাপন করে। যেকোনো পদ্ধতি নির্বাচন করার আগে, একজন শিক্ষককে অবশ্যই নির্ধারণ করতে হবে তিনি শিক্ষার্থীদের কোন নির্দিষ্ট ধরণের সমালোচনামূলক চিন্তন দক্ষতা শেখাতে চান। এই প্রক্রিয়ায় শিক্ষার্থীদের বয়স, কর্মদক্ষতা এবং জ্ঞানীয় ক্ষমতা বিবেচনা করে এমন একটি কর্মসূচি তৈরি করতে হয় যা বেশিরভাগ, যদি না হয় সব, শিক্ষার্থীদের উপকারে আসে। একজন শিক্ষকের জন্য শেষ যে বিষয়ে বিবেচনা করা উচিত, তা হলো '''সরাসরি''' নাকি '''পরোক্ষ পদ্ধতিতে''' সমালোচনামূলক চিন্তন শেখানো হবে। ''সরাসরি নির্দেশনা'' বোঝায় সমালোচনামূলক চিন্তন দক্ষতার স্পষ্ট শিক্ষা যা নিয়ম এবং ধাপগুলো জোর দিয়ে শেখায়। এটি সবচেয়ে কার্যকরী হয় যখন সমস্যার সমাধান সীমিত বা সহজ হয়। বিপরীতে, ''পরোক্ষ নির্দেশনা'' হলো শিক্ষার্থী-কেন্দ্রিক শিক্ষা পদ্ধতি যা শিক্ষার্থীর নিজস্ব চিন্তাধারা গঠনের উপর জোর দেয়। এটি সবচেয়ে কার্যকর যখন সমস্যা অনির্ধারিত, অস্পষ্ট বা ব্যাখ্যার ওপর নির্ভরশীল হয়, যেমন নৈতিক বা নীতিশাস্ত্রভিত্তিক সিদ্ধান্ত <ref name="bruningrh3" />।
পরোক্ষ সমালোচনামূলক চিন্তন শেখানোর একটি উদাহরণ হলো সাহিত্য পর্যালোচনা লেখার প্রক্রিয়া। চ্যান্ডলার ও ডেডম্যান-এর মতে, সাহিত্য পর্যালোচনার জন্য তথ্য সংগ্রহ, বিশ্লেষণ এবং ফলাফল সংক্ষেপে উপস্থাপন করার দক্ষতা অর্জন সমালোচনামূলক চিন্তা চর্চারই একটি অংশ। একটি শিক্ষণ নোটে, তারা একটি বিএসডব্লিউ (ব্যাচেলর অব সোশ্যাল ওয়ার্ক) প্রোগ্রাম বিশ্লেষণ করেন যা স্নাতক শিক্ষার্থীদের মধ্যে সমালোচনামূলক চিন্তাকে উন্নত করতে চেয়েছিল। তারা নির্দিষ্টভাবে বলেন, সাহিত্য পর্যালোচনা তৈরির মতো ব্যবহারিক লেখার অ্যাসাইনমেন্ট শিক্ষার্থীদের পুনর্বিবেচনা এবং প্রতিফলনের সাথে যুক্ত করতে সাহায্য করে এবং তাদের চিন্তার পরিধি বাড়িয়ে বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি বিশ্লেষণের সুযোগ দেয়। তারা দেখতে পান, যখন এই অ্যাসাইনমেন্টকে একটি সমালোচনামূলক পর্যালোচক হিসেবে শিক্ষার্থীদের বিকাশের একটি হাতিয়ার হিসেবে উপস্থাপন করা হয়, তখন শিক্ষার্থীরা এটিকে শুধুমাত্র কোর্স উপাদানের সারাংশ হিসেবে নয় বরং সমালোচনামূলক পাঠ ও লেখন দক্ষতা উন্নয়নের সুযোগ হিসেবেও দেখেছে। আলোচনার সময় প্রশ্নের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের তাদের প্রবন্ধের উৎসের কর্তৃত্ব ও বিশ্বাসযোগ্যতা বিশ্লেষণে সাহায্য করা হয়। শিক্ষার্থীরা তাদের বিষয়ে আরও প্রমাণ সংগ্রহে সচেষ্ট হয়। বিএসডব্লিউ প্রোগ্রামের শেষে শিক্ষার্থীরা সফলভাবে সুচিন্তিত সাহিত্য পর্যালোচনা তৈরি করে <ref>Chandler, S. & Dedman, D.E. (2012). Writing a Literature Review: An Essential Component of Critical Thinking. The Journal of Baccalaureate Social Work, 17. 160-165.</ref>। এই প্রোগ্রামটি সমালোচনামূলক চিন্তন দক্ষতার নিঃশব্দ শিক্ষা প্রদান করে। এখানে শিক্ষকের সাথে সংলাপ এবং সহপাঠী অংশগ্রহণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এখানে নির্দিষ্ট দক্ষতা বা ধাপ স্পষ্টভাবে বলা হয় না, বরং শিক্ষার্থীদের একটি অ্যাসাইনমেন্টের মাধ্যমে সমালোচনামূলক চিন্তা অনুশীলনে নিয়ে যাওয়া হয়। যখন শিক্ষার্থীরা অ্যাসাইনমেন্টে কাজ করে, তখন তাদের যুক্তি, বিশ্লেষণ এবং অনুমানমূলক দক্ষতা ব্যবহার করতে হয় যাতে তারা তাদের বিষয় সংক্রান্ত প্রমাণগুলোকে সংহত করে সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারে। অ্যাসাইনমেন্ট ভিত্তিক সমালোচনামূলক চিন্তা দক্ষতার ব্যবহার শিক্ষার্থীদের মধ্যে পরোক্ষ নির্দেশনার মাধ্যমে এই দক্ষতা গড়ে তোলে।
[[চিত্র:False_dichotomy_public_transport.png|থাম্ব|যুক্তির মানচিত্র একটি যুক্তি উপস্থাপনের দৃশ্যায়ন]]
যুক্তির মানচিত্র হলো যুক্তি উপস্থাপনের একটি ভিজ্যুয়াল উপায়। নিচে যুক্তির মানচিত্র তৈরির সফটওয়্যারগুলোর লিংক দেওয়া হলো:
https://www.rationaleonline.com/
http://www.argunet.org/editor/
http://debategraph.org/planet
https://www.truthmapping.com/map/1021/#s7164
== সমালোচনামূলক চিন্তনের জন্য দক্ষতা ভিত্তিক প্রোগ্রাম ==
এই প্রোগ্রামগুলো বিকল্প শিক্ষণ পদ্ধতির মাধ্যমে সমালোচনামূলক চিন্তন দক্ষতা গঠনে সহায়তা করে, যেমন সমস্যা সমাধান। সাধারণত এগুলো বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের জন্য তৈরি করা হয়, যেমন শেখার অক্ষমতা বা জ্ঞানীয় ঘাটতিসম্পন্ন শিক্ষার্থীরা।
=== CoRT চিন্তন সামগ্রী ===
CoRT (কগনিটিভ রিসার্চ ট্রাস্ট) প্রোগ্রামটি ডি বোনো-র ধারণার ওপর ভিত্তি করে তৈরি। এখানে বলা হয়েছে চিন্তন দক্ষতাকে স্কুলে একটি বিষয় হিসেবে শেখানো উচিত <ref name="alf">Al-Faoury, O.H., & Khwaileh, F. (2014). The Effect of Teaching CoRT Program No. (4) Entitles “Creativity” on the Gifted Learners’ Writing in Ein El-Basha Center for Gifted Students. Theory and Practice in Language Studies, 4(11), 2249-2257. doi:10.4304/tpls.4.11.2249-2257.</ref>। চিন্তন সামগ্রী মূলত চিন্তন দক্ষতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে তৈরি। এই দক্ষতা ভিত্তিক প্রোগ্রাম গেস্টাল্ট পদ্ধতির অনুসরণ করে এবং সমস্যা সমাধানে পারসেপচুয়াল ফ্যাক্টরের উপর গুরুত্ব দেয়। এটি সাধারণত দুই বছরের একটি কোর্স যা বিভিন্ন বয়সের শিশুদের উপযোগী। পাঠগুলো সৃজনশীল চিন্তা, সমস্যা সমাধান ও আন্তঃব্যক্তিক দক্ষতা বিকাশে সহায়তা করে। সামগ্রীগুলো ছয়টি ইউনিটে বিভক্ত এবং পরিকল্পনা, বিশ্লেষণ, তুলনা, নির্বাচন, মূল্যায়ন ও বিকল্প ধারণা তৈরির মতো বিষয় অন্তর্ভুক্ত করে। একটি সাধারণ ইউনিটে লিফলেট থাকে যা একটি নির্দিষ্ট বিষয় কাভার করে, এরপর অনুশীলনের জন্য উদাহরণ দেওয়া হয়। এই লিফলেটগুলো সাধারণত দলীয় কার্যক্রমে বেশি কার্যকর। ইউনিটগুলোর মূল লক্ষ্য হলো চিন্তন দক্ষতা অনুশীলন করানো, তাই পাঠের অধিকাংশ সময় এই বিষয়গুলোর চর্চার জন্য বরাদ্দ থাকে <ref name="bruningrh3" />।
এই স্বতন্ত্র প্রোগ্রামের উপর করা অধিকাংশ গবেষণা সৃজনশীল চিন্তা বিকাশের উপর কেন্দ্রীভূত, তবে এটি এই অধ্যায়ে উল্লিখিত অন্যান্য প্রোগ্রামগুলোর তুলনায় তুলনামূলকভাবে বেশি বিস্তৃত। CoRT প্রোগ্রামটি মেধাবী শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। আল-ফাউরি ও খোয়াইলেহ (২০১৪) CoRT প্রোগ্রামটি মেধাবী শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল লেখার উপর কী ধরনের প্রভাব ফেলে তা মূল্যায়ন করেন। শিক্ষার্থীদের একটি প্রাক-পরীক্ষা দেওয়া হয় যেখানে সৃজনশীল ছোটগল্প লেখার ক্ষেত্রে প্রবাহ, নমনীয়তা ও মৌলিকতা মূল্যায়ন করা হয় <ref name="alf" />। পরীক্ষামূলক গ্রুপের শিক্ষার্থীরা তিন মাসে মোট ২০টি CoRT পাঠ গ্রহণ করে। এর মধ্যে ১০টি ছিল CoRT 1 “Breadth” এবং ১০টি CoRT 4 “Crea tivity” থেকে, অপরদিকে নিয়ন্ত্রণ গ্রুপকে ঐতিহ্যবাহী সৃজনশীল লেখার পাঠ দেওয়া হয়। পরবর্তী পরীক্ষা একই মানদণ্ডে নেওয়া হয় এবং ফলাফল প্রাক-পরীক্ষা ও পরবর্তী পরীক্ষার স্কোরের তুলনা করে বিশ্লেষণ করা হয়। গবেষকেরা দেখতে পান, পরীক্ষামূলক গ্রুপের প্রবাহ, নমনীয়তা ও মৌলিকতা স্কোরে একটি পরিসংখ্যানগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ উন্নতি হয়েছে। এই তিনটি উপাদানেই পরীক্ষামূলক গ্রুপের গড় স্কোর নিয়ন্ত্রণ গ্রুপের তুলনায় বেশি ছিল <ref name="alf" />। এই ফলাফলগুলো নির্দেশ করে যে CoRT প্রোগ্রামটি রূপক, উপমা ইত্যাদির মতো অলংকারশাস্ত্রীয় কৌশল ব্যবহারের মাধ্যমে, সংলাপের মাধ্যমে চরিত্র বিকাশ এবং জটিল গঠন নিয়ন্ত্রণে শিক্ষার্থীদের সহায়তা করে <ref name="alf" />। লেখার নমনীয়তা ও প্রবাহ যুক্তি প্রদর্শন এবং সমালোচনামূলক চিন্তার চর্চার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। ধারণা উপস্থাপন ও পরিবর্তনের ক্ষমতা বিকাশের মাধ্যমে, শিক্ষার্থীরা এই দক্ষতাগুলো সৃজনশীল লেখালেখি থেকে উচ্চতর জ্ঞানীয় প্রক্রিয়ায়—যেমন সমালোচনামূলক চিন্তা ও যুক্তি প্রদান—পরিবর্তন করতে সক্ষম হয়।
=== ফয়ের্স্টাইন ইনস্ট্রুমেন্টাল এনরিচমেন্ট প্রোগ্রাম (এফআইই) ===
এফআইই একটি বিশেষায়িত প্রোগ্রাম যা মধ্যস্থতাভিত্তিক শিক্ষার অভিজ্ঞতার উপর ভিত্তি করে গড়ে তোলা হয়েছে এবং এর উদ্দেশ্য হলো সমালোচনামূলক চিন্তা ও সমস্যা সমাধান দক্ষতা গড়ে তোলা। মধ্যস্থতা হলো এমন এক শিক্ষণ পদ্ধতি যা শিক্ষার্থী ও মধ্যস্থতাকারীর মধ্যে পারস্পরিক সংলাপের মাধ্যমে ঘটে। ভাইগোৎস্কির “স্ক্যাফোল্ডিং”-এর মতো, এটি শিক্ষার্থী-কেন্দ্রিক এবং চারটি মূল উপাদানের উপর ভিত্তি করে: উদ্দেশ্যমূলকতা, পারস্পরিকতা, পরিপার্শ্বে প্রসারণ এবং অর্থবোধকতা <ref name="kozulin">Kozulin, A. & Presseisen, B.Z. (1995). Mediated Learning Experience and Psychological Tools: Vygotsky’s and Feuerstein’s Perspective in a Study of Student Learning. Educational Psychologist, 30(2), 67-75.</ref>। উদ্দেশ্যমূলকতা বোঝায় মধ্যস্থতা ও সাধারণ পারস্পরিক যোগাযোগের মধ্যে পার্থক্য। এখানে শিক্ষার্থী ও মধ্যস্থতাকারীর মধ্যে একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য থাকে। পারস্পরিকতা বোঝায় শিক্ষার্থী-কেন্দ্রিক মনোভাব। এখানে শিক্ষার্থীর প্রতিক্রিয়াই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, শিক্ষাবিষয়ক ফলাফল নয়। পরিপার্শ্বে প্রসারণ বোঝায় বর্তমান পাঠ ছাড়িয়ে নতুন সংযোগ তৈরি ও প্রয়োগের উৎসাহ প্রদান। অর্থবোধকতা বোঝায় শিক্ষার্থী ও মধ্যস্থতাকারী পরিষ্কারভাবে “কেন” ও “কিসের জন্য” প্রশ্নের উত্তর নির্ধারণ করে। এটি শিক্ষার সময় সংলাপ বাড়ায় <ref name="kozulin" /><ref>Presseisen, B.Z. & Kozulin, A. (1992). Mediated Learning – The Contributions of Vygotsky and Feuerstein in Theory and Practice.</ref>
এই প্রোগ্রামে ব্যবহৃত “ইনস্ট্রুমেন্টগুলো” হলো পেন্সিল-পেপার ভিত্তিক অনুশীলন যা শিক্ষার্থীদের উচ্চতর চিন্তন কৌশল অন্তর্নিহিতভাবে অনুশীলনে সহায়তা করে। এই ইনস্ট্রুমেন্টগুলো বিশ্লেষণাত্মক উপলব্ধি, স্থানগত সংগঠন, শ্রেণীবিন্যাস, তুলনা এবং অন্যান্য অনেক বিষয়ে কাজ করে। বিভিন্ন দেশে এই প্রোগ্রামের প্রয়োগ পদ্ধতি ভিন্ন এবং লক্ষ্যকৃত জনগোষ্ঠীর উপর নির্ভরশীল। একটি সাধারণ প্রোগ্রামে ১৪টি ইউনিট থাকে এবং প্রতি সপ্তাহে কয়েক ঘণ্টার জন্য ৩–৪টি সেশন পরিচালনা করা হয়। এটি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত IE কর্মী ও শিক্ষকরা পরিচালনা করে <ref name="kozulin" />।
=== ফলপ্রসূ চিন্তন কর্মসূচি ===
ফলপ্রসূ চিন্তন কর্মসূচির লক্ষ্য হলো পরিকল্পনা করার দক্ষতা, অনুমান তৈরি ও যাচাই এবং নতুন ধারণা উদ্ভাবন। এটি ১৫টি পাঠে বিভক্ত যা একটি সেমিস্টারে সম্পন্ন করার জন্য তৈরি। প্রোগ্রামের লক্ষ্য গোষ্ঠী হলো উচ্চস্তরের প্রাথমিক শ্রেণির শিক্ষার্থীরা। পাঠগুলো একটি গল্পনির্ভর বইয়ের মাধ্যমে পড়ানো হয়। এখানে শিক্ষার্থীরা একজন গোয়েন্দার ভূমিকায় কাজ করে এবং রহস্য সমাধান করে। একটি নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য শিক্ষার্থীদের একটি কাঠামোবদ্ধ ধাপ অনুসরণ করতে হয় <ref>Schuler, G. (1974). The Effectiveness of the Productive Thinking Program. Paper presented at the Annual Meeting of the American Educational Research Association. Retrieved from: http://www.eric.ed.gov/contentdelivery/servlet/ERICServlet?accno=ED103479.</ref>। পাঠ শেষে অতিরিক্ত সমস্যা দেওয়া হয় যাতে শিক্ষার্থীরা শিখিত দক্ষতা প্রয়োগ করে অনুশীলন করতে পারে <ref name="bruningrh3" />।
=== IDEAL সমস্যা সমাধান পদ্ধতি ===
IDEAL সমস্যা সমাধান পদ্ধতি ৫টি ধাপের একটি কাঠামো যা IDEAL নামের সংক্ষিপ্তরূপে উপস্থাপিত। প্রথমে, (I)dentify: সমস্যা শনাক্ত করা, অর্থাৎ সমস্যাটি কী তা বুঝতে হবে। দ্বিতীয় ধাপ, (D)efine: সমস্যা সংজ্ঞায়িত করা। এখানে পুরো সমস্যাটি পরিষ্কারভাবে বোঝা জরুরি। তৃতীয় ধাপ, (E)xplore: বিকল্পগুলো অন্বেষণ করা, অর্থাৎ সম্ভাব্য সমাধানগুলো বিশ্লেষণ করা। চতুর্থ ধাপ, (A)cting: একটি পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করা। শেষ ধাপ, (L)ooking: ফলাফল পর্যবেক্ষণ করা, অর্থাৎ গৃহীত সমাধানের প্রভাব বিশ্লেষণ করা। IDEAL একটি নমনীয় কাঠামো যা বিভিন্ন বয়স ও দক্ষতার শিক্ষার্থীদের জন্য উপযোগী এবং বিভিন্ন বিষয়ে যেমন রচনা বা পদার্থবিজ্ঞানে প্রয়োগ করা যায় <ref name="bruningrh3" />।
== যুক্তিবাদের নির্দেশনা ==
যুক্তিবাদ নিয়ে গবেষণা শিক্ষা ক্ষেত্রে তুলনামূলকভাবে নতুন একটি ক্ষেত্র হলেও, এটি প্রায় সব ধরনের শিক্ষাব্যবস্থার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং কলেজগুলো এখন শ্রেণিকক্ষে যুক্তিবাদের ব্যবহারে গুরুত্ব দিচ্ছে, কারণ এটি বিশ্বব্যাপী পেশাগত ও শিক্ষামূলক পরিবেশে যোগাযোগ ও বিতর্কের সবচেয়ে কার্যকর উপায় হিসেবে দেখা হচ্ছে।<ref name="cro">Crowell, A., & Kuhn, D. (2014). Developing dialogic argumentation skills: A 3-year intervention study. Journal of Cognition and Development, 15(2), 363-381. doi:10.1080/15248372.2012.725187</ref> ক্রোয়েল এবং কুহন কর্তৃক পরিচালিত একটি দীর্ঘমেয়াদী গবেষণায় দেখা গেছে, শিক্ষার্থীদের যুক্তিবাদী দক্ষতা অর্জনে সবচেয়ে কার্যকর উপায় হলো শ্রেণিকক্ষে ও বাড়ির কাজ হিসেবে ধারাবাহিক ও ঘনঘন যুক্তিবাদের প্রয়োগ।<ref name="cro" /> এই গবেষণার সময় শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন পদ্ধতির মাধ্যমে যুক্তিবাদী দক্ষতা অর্জন করেছে। বন্ধুদের সঙ্গে সহযোগিতা, কম্পিউটার ব্যবহার, আত্মপ্রত্যয়মূলক কার্যকলাপ, ব্যক্তিগত প্রবন্ধ এবং ছোট দলের কাজ—এই সব কৌশল যুক্তিবাদ শেখানোর ক্ষেত্রে মূল্যবান প্রমাণিত হয়েছে, যদিও কোনটি সবচেয়ে কার্যকর তা স্পষ্ট নয়।<ref name="cro" /> গবেষণার তথ্য থেকে দেখা যায়, শিক্ষার্থীরা যেখান থেকে শুরু করেছিল, তাদের আগের যুক্তিবাদী পরীক্ষার ফলাফল যাই হোক না কেন, সকলেই প্রায় সমান মাত্রার যুক্তিবাদী দক্ষতা অর্জন করেছে। এটি প্রমাণ করে, এমনকি যাদের প্রথম দিকে যুক্তিবাদী দক্ষতা নেই বলেই মনে হয়েছে, তারাও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সেই দক্ষতা অর্জন করতে পারে এবং হয়তো তাদের চেয়েও ভালো করতে পারে যারা শুরুতে বেশি নম্বর পেয়েছিল।<ref name="cro" />
=== সংলাপ ও যুক্তিবাদ ===
ক্রোয়েল এবং কুহন (২০১১) এর গবেষণায় দেখা যায়, যৌথ সংলাপভিত্তিক কার্যকলাপ যুক্তিবাদী দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য কার্যকর হস্তক্ষেপ হতে পারে। তারা একটি দীর্ঘমেয়াদী হস্তক্ষেপ চালু করেন। সেখানে একটি মধ্যবিদ্যালয়ের দর্শনের ক্লাসে বিষয়ভিত্তিক চক্র ব্যবহার করে যুক্তিবাদ শেখানো হয়<ref name="crowell">Crowell, A., & Kuhn, D. (2011). Dialogic Argumentation as a Vehicle for Developing Young Adolescents’ Thinking. Psychological Science, 22(4), 545-552. DOI: 10.1177/0956797611402512.</ref>। শিক্ষার্থীরা সপ্তাহে দুই দিন, প্রতি ক্লাসে ৫০ মিনিট করে তিন বছর ধরে ক্লাস করে। এই হস্তক্ষেপ ছিল তিন ধাপে: প্রথমে শিক্ষার্থীদের ছোট ছোট দলে ভাগ করে তাদের যুক্তির একদিকে রাখার মাধ্যমে ধারণা তৈরি করা হয় (“পক্ষে” এবং “বিপক্ষে” দল)। এরপর প্রতিপক্ষের সঙ্গে বৈদ্যুতিক মাধ্যমে যুক্তি তর্কে যুক্ত হয়। সবশেষে পুরো শ্রেণিকক্ষে একত্রে বিতর্কে অংশ নেয়। এই তিনটি ধাপ যথাক্রমে প্রিগেম, গেম এবং এন্ডগেম নামে পরিচিত। হস্তক্ষেপ শেষে শিক্ষার্থীদের একটি প্রবন্ধ লিখতে বলা হয় যার মাধ্যমে তাদের যুক্তিবাদী দক্ষতা মূল্যায়ন করা হয়<ref name="crowell" />। ফলাফল দেখায় যে হস্তক্ষেপপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের মধ্যে দ্বিমুখী দৃষ্টিভঙ্গি ভিত্তিক যুক্তি তৈরির হার বৃদ্ধি পেয়েছে। এই ধরনের যুক্তি প্রদানের জন্য একজনকে নিজের বিপরীত অবস্থান নিতে হয় এবং সেই অনুযায়ী যুক্তি সাজাতে হয়। এই ধরনের যুক্তি উচ্চতর মানসিক প্রক্রিয়া নির্দেশ করে যা বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গিকে বিশ্লেষণ করার সামর্থ্য চায়। এই পরিবর্তনগুলি দ্বিতীয় বছর পর্যন্ত দৃশ্যমান ছিল না এবং তৃতীয় বছরেই তা পরিসংখ্যানগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে প্রমাণিত হয়। এটি নির্দেশ করে যুক্তিবাদী দক্ষতা অন্যান্য নিম্নস্তরের মানসিক দক্ষতার তুলনায় বেশি সময় নিয়ে গড়ে ওঠে<ref name="crowell" />। এই স্বতন্ত্র হস্তক্ষেপ প্রমাণ করে যে সংলাপভিত্তিক কার্যকলাপের সহযোগিতামূলক দিকটি যুক্তিবাদের জন্য প্রয়োজনীয় মানসিক প্রবণতা গঠনে সহায়তা করে<ref name="crowell" />।
[[চিত্র:Dynamic_roles_during_dialogue.jpg|থাম্ব|যুক্তিবাদ বিকাশে সংলাপভিত্তিক কার্যকলাপ গুরুত্বপূর্ণ। পারিবারিক থেরাপিস্ট ডেভিড ক্যান্টর সংলাপের সময় অংশগ্রহণকারীরা যে চারটি ভিন্ন ভিন্ন ভূমিকা গ্রহণ করেন, তা চিত্রিত করেছেন।]]
আরও গবেষণায় দেখা যায়, সহযোগিতামূলক আলোচনা ও যুক্তিবাদী সংলাপের মাধ্যমে শিক্ষা প্রদান একটি কার্যকর কৌশল<ref name="macagno2" />। যুক্তিবাদের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ধারণা এবং এই ধারণাগুলোর পেছনের মৌলিক চিন্তাধারা অর্জন করতে পারে। যুক্তি তৈরি করতে গেলে শিক্ষার্থীদের গ্রহণযোগ্য সংজ্ঞা বা দাবির মাধ্যমে একটি যুক্তির কাঠামো গড়ে তুলতে হয়। যুক্তিবাদ শিক্ষার্থীদের ভুল ধারণা স্পষ্ট করতে সাহায্য করে এবং তাদের পূর্বজ্ঞান ব্যাখ্যা ও সম্প্রসারণের সুযোগ দেয়। যুক্তিবাদের দুটি প্রধান দিক—সংলাপ এবং কাঠামো—প্রায়শই যুক্তিবাদী দক্ষতার মূল্যায়নে ব্যবহৃত হয়<ref name="macagno2" />। বিশেষ করে শিক্ষার্থী ও বিশেষজ্ঞদের মধ্যকার সংলাপের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের নির্দিষ্ট যুক্তি ও পাল্টা যুক্তি দিতে উৎসাহিত করা যায়। এটি বিশেষজ্ঞের সংলাপগত সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করে<ref name="macagno2" />। এই সহায়ক কাঠামো শিক্ষার্থীকে গভীরভাবে বিশ্লেষণ করতে সহায়তা করে।
যখন শিক্ষার্থী-শিক্ষার্থী এবং শিক্ষার্থী-বিশেষজ্ঞ সংলাপের মধ্যে যুক্তিবাদী আচরণের কনটেন্ট ও কার্যকরী কোডিং বিশ্লেষণ করা হয়, তখন ম্যাকাগ্নো, মেওয়েগ-পাউস ও কুহন (২০১৪) দেখেছেন যে শিক্ষার্থী-বিশেষজ্ঞ সংলাপের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা পরবর্তীতে মূল বিষয়টির গভীরে থাকা বিমূর্ত ধারণা (যেমন নৈতিক নীতিমালা, মূল্যবোধের দ্বন্দ্ব) নিয়ে যুক্তি তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে। এটি শিক্ষার্থী-শিক্ষার্থী সংলাপে দেখা যায়নি<ref name="macagno2" />। বিশেষজ্ঞরা শিক্ষার্থীর যুক্তিকে আক্রমণ করার জন্য আরও নির্দিষ্ট ও জটিল কৌশল ব্যবহার করেন, যেমন সমস্যা সমাধানের বিকল্প উপায় প্রস্তাব করা। এটি পরবর্তী সময়ে শিক্ষার্থীর মেটা-সংলাপে পারফরম্যান্স উন্নত করেছে<ref name="macagno2" />। এই ফলাফল নির্দেশ করে যে সহযোগিতামূলক কার্যকলাপে যুক্তিবাদের ব্যবহার যুক্তিবাদী দক্ষতা বিকাশে সহায়ক। সমালোচনামূলক চিন্তনর মতো, শিক্ষাদানের পরিবর্তে, ইন্টারঅ্যাকটিভ পরিবেশে অনুশীলনের মাধ্যমে যুক্তিবাদ শেখা আরও কার্যকর হতে পারে।
=== বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদ ===
শ্রেণিকক্ষে যুক্তিবাদের প্রয়োগ নিয়ে অধিকাংশ সাহিত্য বৈজ্ঞানিক বিষয়কেই কেন্দ্র করে লেখা হয়েছে। যুক্তিবাদ বিজ্ঞান শিক্ষায় একটি টুল হিসেবে ব্যবহৃত হয় সমালোচনামূলক চিন্তন উন্নত করতে, ক্লাসে অংশগ্রহণ বাড়াতে এবং বিষয়ের চারপাশে পূর্বজ্ঞান ও বিশ্বাস সক্রিয় করতে<ref name="macagno2" />। বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব ও জ্ঞান ব্যাখ্যা এবং পরিশোধিত করার জন্য বিজ্ঞানীরাও যুক্তিবাদের ওপর নির্ভর করেন<ref name="jonassen2" />। জোনাসেন ও কিম (২০১০) বলেন, বিজ্ঞান শিক্ষকরা প্রায়ই যুক্তিবাদের গুরুত্ব অন্যান্য বিষয়ের চেয়ে বেশি দেন<ref>Jonassen, D.H., & Kim, B. (2010). Arguing to learn ad learning to argue: design justifications and guidelines. Education Technology & Research Development, 58(4), 439-457. DOI 10.1007/s11423-009-9143-8.</ref>। যুক্তিবাদ শিক্ষার্থীদের ভালোভাবে সংগঠিত সমস্যা ও অসংগঠিত সমস্যার সমাধান শিখতে সাহায্য করে। এটি দৈনন্দিন জীবনের সমস্যাগুলোকেও অন্তর্ভুক্ত করে। বিশেষভাবে, অসংগঠিত সমস্যা হচ্ছে এমন সমস্যা যেখানে লক্ষ্য ও সীমাবদ্ধতা স্পষ্ট নয় এবং একাধিক সমাধানের পথ ও মূল্যায়নের মানদণ্ড থাকে<ref name="jonassen2" />।
যুক্তিবাদের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা সমস্যা সমাধানের জন্য সঠিক যুক্তি ও সমালোচনামূলক চিন্তন প্রয়োগ করতে শেখে। উদাহরণস্বরূপ, একটি ভালোভাবে সংগঠিত সমস্যা হতে পারে পদার্থবিজ্ঞানের একটি প্রশ্ন যেখানে নির্দিষ্ট সূত্র ও নিয়ম অনুসরণ করে উত্তর বের করতে হয় অথবা পাঠ্যবইয়ের শেষে থাকা প্রশ্ন যা নির্দিষ্ট তত্ত্বের ওপর ভিত্তি করে সমাধান করতে হয়। অন্যদিকে, একটি অসংগঠিত সমস্যা হতে পারে একজন ব্যক্তির হৃদরোগের কারণ নির্ধারণ করা। এখানে বিভিন্ন জীবনধারা ও শারীরিক কারণ একত্রে কাজ করে এবং হৃদরোগের নানা রূপও বিবেচনা করতে হয়। এই ধরনের সমস্যা সমাধানের জন্য পুষ্টি, মানসিক স্বাস্থ্য ও জিনগত কারণের মতো অন্যান্য ক্ষেত্র থেকেও জ্ঞান প্রয়োগ করতে হয়। যেহেতু এই সমস্যাগুলোর একক কোনো উত্তর নেই, শিক্ষার্থীরা তাদের সমাধানের যুক্তি দিতে পারে<ref name="jonassen2" />। বিজ্ঞান শেখার সময় এমন সমস্যা সমাধানের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা সমালোচনামূলক চিন্তন ব্যবহার করে যুক্তিবাদী দক্ষতা গড়ে তোলে।
একজন ব্যক্তির যুক্তি প্রদানে আগ্রহ এবং দক্ষতা – এই দুইটিই বিজ্ঞানের শিক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে<ref name="bathgate">Bathgate, M., Crowell, A., Schunn, C., Cannady, M., & Dorph, R. (2015). The learning benefits of being willing and able to engage in scientific argumentation. International Journal of Science Education, 37(10), 1590-1612. doi:10.1080/09500693.2015.1045958</ref>। কারণ, বিজ্ঞান নিজেই এক ধরনের যুক্তিবাদী ক্ষেত্র।
[[চিত্র:The_Scientific_Method_as_an_Ongoing_Process.svg|থাম্ব|বিজ্ঞান মূলত যুক্তিবাদভিত্তিক একটি প্রক্রিয়া; বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির মধ্যেই এই যুক্তিক্রম দেখা যায়।]]
যদি শিক্ষার্থীরা অল্প বয়স থেকেই যুক্তিবাদে অংশ নিতে সক্ষম হয়, তবে তাদের বৈজ্ঞানিক বিষয়বস্তুর জ্ঞান অনেক বেশি বৃদ্ধি পেতে পারে। এর প্রধান কারণ হলো যুক্তিবাদী আলাপচারিতা। সেখানে অন্যের সঙ্গে দ্বিমত প্রকাশ করতে পারা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে কিশোর-কিশোরীদের ক্ষেত্রে যাদের সামাজিক আচরণ অত্যন্ত সক্রিয় থাকে (যেমন জুনিয়র থেকে সিনিয়র হাই স্কুল)। এই সামাজিক সক্ষমতা ব্যবহার করাই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এ সময় তারা একে অপরের সঙ্গে দ্বিমত প্রকাশ করতে আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠে। একজন শিক্ষার্থী যখন ক্লাসে অন্য কারও সঙ্গে যুক্তি দেয়, তখন সে তার চিন্তাভাবনা প্রকাশ করতে বাধ্য হয়। এই চিন্তাভাবনার ভাষায় রূপদান শিক্ষার্থীর শেখার জন্য খুবই কার্যকর<ref name="bathgate" />। এটি তাকে তার চিন্তাভাবনা বিশ্লেষণ ও সম্প্রসারণ করতে সাহায্য করে, কারণ তার ধারণাগুলো শ্রেণিতে উপস্থাপন করতে হয়। এছাড়া, এতে করে শিক্ষার্থী নিজের ভুল ধারণাও শনাক্ত করতে পারে, কারণ সহপাঠীরা তার যুক্তির বিরোধিতা করতে পারে<ref name="bathgate" />। এসব উপাদান সমালোচনামূলক চিন্তার অংশ এবং শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য অর্থাৎ ধারণাগত পরিবর্তনে অবদান রাখে। কিশোর-কিশোরীদের সামাজিক আচরণের এই প্রকৃতি বিজ্ঞানে তাদের শিক্ষায় যুক্তিবাদের প্রভাব বিস্তার করতে একটি সুযোগ সৃষ্টি করে<ref name="bathgate" />।
=== যুক্তিবাদ, সমস্যা সমাধান এবং ইতিহাস শিক্ষায় সমালোচনামূলক চিন্তন ===
ইতিহাস শিক্ষা শিক্ষার্থীদের জন্য সমস্যা সমাধান ও সমালোচনামূলক চিন্তনর বিকাশের এক সমৃদ্ধ সুযোগ প্রদান করে এবং মানব অভিজ্ঞতার প্রতি তাদের দৃষ্টিভঙ্গি প্রসারিত করে। ইতিহাস চর্চা একটি জ্ঞানগত ব্যবধান পূরণ করে; বিশেষ করে, এটি বর্তমান দিনের জ্ঞানের সঙ্গে "অসীম, অসংগঠিত এবং অজানা যা কিছু অতীতে ঘটেছে" – তার পার্থক্য দূর করে।<ref name="”S”">Seixas, P., Morton, T., Colyer, J., & Fornazzari, S. (2013). The Big Six: Historical thinking Concepts. Toronto: Nelson Education.</ref> বহুদিন ধরেই ইতিহাস শিক্ষায় সমালোচনামূলক চিন্তন এবং বিশ্লেষণী সমস্যা সমাধানের গুরুত্ব স্বীকৃত। ইতিহাসে দক্ষ হতে হলে শিক্ষার্থীদের বুঝতে ও নির্মাণ করতে হয় যে কিভাবে আমরা অতীত সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করি এবং কিভাবে অতীত ও ইতিহাস নামক জ্ঞানের ভাণ্ডারের মধ্যে সংযোগ তৈরি করি।<ref>Osborne, K. (2013). Forward. Seixas, P., Morton, T., Colyer, J., & Fornazzari, S. The Big Six: Historical thinking Concepts. Toronto: Nelson Education.</ref> দুর্ভাগ্যজনকভাবে, ইতিহাস শিক্ষাকে আজকাল শুধুমাত্র তথ্য মুখস্থ করার বিষয়ে সীমাবদ্ধ করে ফেলা হয়েছে – যেখানে অতিরিক্ত মুখস্থ এবং বহু বিকল্প প্রশ্নভিত্তিক পরীক্ষার উপর নির্ভর করা হচ্ছে। এটি বর্তমান বাস্তবতা থেকে সম্পূর্ণভাবে আলাদা। এই ধরনের পদ্ধতি শিক্ষার্থীদের ইতিহাস বিষয়ে আগ্রহ তৈরি করতে পারে না, এমনকি এটি অতীত ও বর্তমানের সংযোগ বুঝতেও সাহায্য করে না।
অন্যদিকে, বিজ্ঞান ও গণিতের অধ্যয়ন বহু বছর ধরে সমস্যা সমাধানের কার্যকলাপের মাধ্যমে দক্ষতা উন্নয়নের উপর কেন্দ্রীভূত হয়েছে। শিক্ষার্থীরা প্রাথমিক দক্ষতা অর্জন করে এবং ক্রমাগত জটিল সমস্যার একটি অগ্রগতি অনুসরণ করে এই দক্ষতাগুলোকে আরো গভীরভাবে রপ্ত করে। এটিতে তারা বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব এবং গাণিতিক সম্পর্ক সম্পর্কে আরও ভালোভাবে বুঝতে পারে। বিশেষ করে বিজ্ঞান শিক্ষায়, শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞানীদের মতো চিন্তা করতে এবং বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি ব্যবহার করে সমস্যার সমাধান করতে শেখানো হয়। যদি এই পদ্ধতি বিজ্ঞান ও গণিত শিক্ষার ক্ষেত্রে কার্যকর হয়, তবে ইতিহাস শিক্ষায় এটি ব্যবহার করা যাবে না কেন? <ref name="”S”2" />। অতএব, ঐতিহাসিক চিন্তা বিকাশের জন্য শিক্ষকদের পেশাদার ইতিহাসবিদদের দ্বারা ব্যবহৃত কৌশল ও সমস্যা সমাধানের পন্থাগুলো শেখানো প্রয়োজন। তবে, বিজ্ঞান ও গণিতের মতো নয়, ইতিহাসে আমরা যেসব সমস্যার সমাধান করি, সেগুলো প্রায়ই অস্পষ্ট এবং অনেক সময় সুস্পষ্টভাবে অমীমাংসিত থাকে। এটি শিক্ষার্থীদের জন্য এই দক্ষতাগুলি শেখা ও প্রয়োগ করা আরও চ্যালেঞ্জিং করে তোলে। পরবর্তী অংশে এই চ্যালেঞ্জগুলো আলোচনা করা হবে এবং ২০১৩ সালের ''দ্য বিগ সিক্স হিস্ট্রিকাল থিংকিং কনসেপ্ট'' (ছয়টি বড় ঐতিহাসিক চিন্তাভাবনার ধারণা)-র মাধ্যমে ঐতিহাসিক চিন্তা শেখানোর পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করা হবে।
==== ঐতিহাসিক চিন্তা - দ্য বিগ সিক্স ====
বহু বছরের গবেষণা ও সরাসরি শ্রেণিকক্ষ অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে সেক্সাস ও মর্টন (২০১৩) ঐতিহাসিক চিন্তা দক্ষতা বিকাশের জন্য ছয়টি অপরিহার্য যোগ্যতার একটি সেট তৈরি করেন। উপরোক্ত বিজ্ঞান ও গণিত শিক্ষার মতোই, ইতিহাস শিক্ষায় ‘বিগ সিক্স’ পদ্ধতি শিক্ষার্থীদের সহজ কাজ থেকে জটিল কাজের দিকে অগ্রসর হওয়ার সুযোগ দেয়। তদুপরি, এই পদ্ধতির উদ্দেশ্য হলো শিক্ষার্থীদের “সাধারণ উপলব্ধ ধারণার উপর নির্ভরতা থেকে সরে এসে ইতিহাস বোঝার জন্য সংস্কৃতির সবচেয়ে শক্তিশালী বুদ্ধিবৃত্তিক সরঞ্জাম ব্যবহার করা” শেখানো। (পৃষ্ঠা ১) <ref name="”S”2" /> এছাড়াও, বিগ সিক্স ধারণাগুলো শিক্ষার্থীদের দেখায় যে অতীতের ইতিহাস নির্মাণ করতে গেলে কী ধরণের জটিলতার মুখোমুখি হতে হয়। এই ছয়টি দক্ষতার মধ্যে রয়েছে: ঐতিহাসিক গুরুত্ব, প্রমাণ, ধারাবাহিকতা ও পরিবর্তন, কারণ ও পরিণতি, ঐতিহাসিক দৃষ্টিভঙ্গি, এবং নৈতিক মাত্রা।
'''ঐতিহাসিক গুরুত্ব'''
ইতিহাস সম্পর্কে সমালোচনামূলক দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে তুলতে হলে শিক্ষার্থীদের বুঝতে ও সংজ্ঞায়িত করতে হবে কী কারণে একটি ব্যক্তি, ঘটনা, বা সামাজিক পরিবর্তন ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ এবং কেন তাদের এ বিষয়ে সময় ব্যয় করা উচিত। ইতিহাস শিক্ষায় আচরণবাদী পদ্ধতি। সেখানে পাঠ্যপুস্তকই প্রধান তথ্য উৎস, শিক্ষার্থীদের ইতিহাস শেখায় প্যাসিভ বা নিষ্ক্রিয় হয়ে উঠতে। পাঠ্যপুস্তকই যেন নির্ধারণ করে দেয় কী জানতে হবে। উপরন্তু, শুধুমাত্র পাঠ্যপুস্তকের উপর নির্ভর করে জাতীয় ইতিহাস শেখানো “মাস্টার ন্যারেটিভ” তৈরি করতে পারে। এটি শিক্ষার্থীদের দেশের অতীতের বিতর্কিত দিকগুলো জানার সুযোগ সীমিত করে দেয়।<ref name="CA">Carretero, M., & van Alphen, F. (2014). Do Master Narratives Change Among High School Students? A Characterization of How National History Is Represented. Cognition and Instruction, 32(3), 290–312. http://doi.org/10.1080/07370008.2014.919298</ref> পাঠ্যপুস্তক থেকে মনোযোগ সরিয়ে দিলে, শিক্ষার্থীরা ঐতিহাসিকদের মতো করে অতীত বিশ্লেষণের ধাপ অনুসরণ করে সমালোচনামূলক চিন্তা দক্ষতা আরও ভালোভাবে উন্নয়ন করতে পারে এবং “ঐতিহাসিক গুরুত্ব সম্পর্কে যুক্তিসংগত সিদ্ধান্ত” তৈরি করতে পারে। <ref name="”S”2" /> তবে, এমনকি যদি শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক উৎস উপস্থাপন করাও হয়, তবু যদি তাদের শেখানো না হয় কেন এই নির্দিষ্ট প্রমাণ বা বিষয়গুলো নির্বাচন করা হয়েছে এবং কেন এগুলো গুরুত্বপূর্ণ, তাহলে তারা ইতিহাস গঠনে মানবিক প্রেরণার প্রভাব অনুধাবন করতে ব্যর্থ হতে পারে। বিজ্ঞানী যেভাবে “পজিটিভিস্টিক যুক্তিবাদের সংজ্ঞা” ব্যবহার করেন, ঐতিহাসিক চিন্তা তার চেয়ে ভিন্ন; এটি শিক্ষার্থীদেরকে অনুধাবন করাতে হয় তাদের নিজের প্রেরণা, শিক্ষকের বিষয় নির্বাচনের প্রেরণা, এবং অতীতের মানুষের প্রেরণা সম্পর্কে। <ref name="”Freedman2015”">Freedman, E. B. (2015). “What Happened Needs to Be Told”: Fostering Critical Historical Reasoning in the Classroom. Cognition and Instruction, 33(4), 357–398. http://doi.org/10.1080/07370008.2015.1101465</ref>
সেক্সাস ও মর্টন (২০১৩) ঐতিহাসিক গুরুত্ব নির্ধারণের দুটি উপাদান চিহ্নিত করেছেন: “আজকের জীবনে বিদ্যমান বড় ও প্রাসঙ্গিক উদ্বেগ যেমন পরিবেশগত স্থায়িত্ব, ন্যায়বিচার, ক্ষমতা, ও কল্যাণ” এবং “বিশেষ কিছু ঘটনা, বস্তু, ও ব্যক্তিত্ব যাদের ঐতিহাসিক গুরুত্ব নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে” (পৃষ্ঠা ১৬) <ref name="”S”2" /> এই দুটি উপাদানের সংযোগস্থলে ঐতিহাসিক গুরুত্ব নির্ধারিত হয়। এখানে ফ্রিডম্যান (২০১৫)-এর সমালোচনামূলক ঐতিহাসিক যুক্তির সংজ্ঞাটি যুক্ত করা প্রাসঙ্গিক। এটি আমাদের বোঝায় যে ইতিহাস অধ্যয়ন নিরপেক্ষ নয়। ইতিহাসবিদরা “তাদের অনুসন্ধান নির্ধারণ করেন তারা যে প্রশ্ন করেন ও যে তত্ত্ব ব্যবহার করেন তার মাধ্যমে” এবং তাই ইতিহাস শিক্ষার্থীদের “ঐতিহাসিক বর্ণনার সততা ও এর জোর ও উপেক্ষার ধরণ” বিশ্লেষণ করতে হয় (পৃষ্ঠা ৩৬০)। <ref name="”Freedman2015”" /> সমালোচনামূলক ঐতিহাসিক যুক্তি শিক্ষার্থীদের শেখায় তারা যে ফ্রেমটি গ্রহণ করেছে তা সম্পর্কে সচেতন হওয়া এবং এই ফ্রেমের সুবিধা ও সীমাবদ্ধতা বুঝতে পারা (পৃষ্ঠা ৩৬০)। <ref name="”Freedman2015”" /> অতএব, ইতিহাসবিদ ও ইতিহাস শিক্ষার্থীদের উভয়কেই বুঝতে হবে যে ঐতিহাসিক গুরুত্ব আরোপিত হয়, এটি অতীতের কোনো অন্তর্নিহিত গুণ নয়, এবং এটি পরিবর্তনশীল।
'''প্রমাণ'''
সেক্সাস ও মর্টন (২০১৩) বর্ণিত দ্বিতীয় দক্ষতা হলো অতীত সম্পর্কিত প্রশ্নের উত্তরে প্রমাণ ব্যবহার করা। ওয়াইনবার্গ (১৯৯১) একটি গবেষণায় উৎস নথিপত্র বিশ্লেষণে ব্যবহৃত জ্ঞানীয় প্রক্রিয়াগুলো নির্ণয় করেন এবং তিনটি কৌশলের কথা বলেন: প্রতিপাদন (মিলিয়ে দেখা), সোর্সিং (লেখক নির্ধারণ), এবং প্রাসঙ্গিকীকরণ বা প্রেক্ষাপটে স্থাপন। প্রতিপাদন মানে এক উৎসের সঙ্গে অন্যটির তুলনা করা, সোর্সিং মানে উপাত্ত পড়ার আগে লেখককে চিহ্নিত করা, এবং প্রাসঙ্গিকীকরণ মানে প্রমাণকে নির্দিষ্ট সময় ও স্থানে স্থাপন করা (পৃষ্ঠা ৭৭)। <ref name="Wa">Wineburg, S. S. (1991). Historical problem solving: A study of the cognitive processes used in the evaluation of documentary and pictorial evidence. Journal of Educational Psychology, 83(1), 73–87. http://doi.org/10.1037/0022-0663.83.1.73</ref>
এই গবেষণায় ইতিহাসবিদ ও উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে পার্থক্য তুলনা করা হয়। ওয়াইনবার্গ (১৯৯১) দেখান, ইতিহাসবিদরা সফল হয় কারণ তারা কোনো নির্দিষ্ট ঘটনা সম্পর্কে “পরিপ্রেক্ষিতভিত্তিক স্কিমা” তৈরি করে, বিজ্ঞান ও গণিতে ব্যবহৃত সাধারণ স্কিমা প্রসেসিংয়ের বিপরীতে (পৃষ্ঠা ৮৩)। <ref name="Wa" /> এছাড়াও, ইতিহাসবিদরা নথির উৎসের প্রতি শিক্ষার্থীদের চেয়ে বেশি সচেতনতা দেখিয়েছেন। এটি বোঝায় যে শিক্ষার্থীরা লেখকের পরিচয় ও উৎসের নির্ভরযোগ্যতার সম্পর্কটি বুঝতে পারেনি। ওয়াইনবার্গ বলেন, “কোনো বিবরণই মুক্তভাবে বিচ্ছিন্ন নয়, প্রতিটি বিবরণ কোনো সাক্ষীর সঙ্গে যুক্ত, এবং যদি সাক্ষী সন্দেহজনক হয়, তবে তাদের বিবরণও সন্দেহজনক” (পৃষ্ঠা ৮৪)। <ref name="Wa" /> এই গবেষণা দেখায় ইতিহাস নির্মাণে ইতিহাসবিদদের ব্যবহার করা জ্ঞানীয় কৌশল শেখানোর মাধ্যমে ঐতিহাসিক বোঝাপড়া উন্নত করা যেতে পারে।
অতীত সম্পর্কে একাধিক বর্ণনা থাকতে পারে, কারণ প্রত্যেকে তার নিজস্ব মূল্যবোধ ও অভিজ্ঞতা অনুযায়ী ইতিহাস ব্যাখ্যা করে। এটি স্বীকৃতি দিলে শিক্ষার্থীরা সাধারণ ইতিহাসের উপস্থাপনায় সন্তুষ্ট না থেকে একটি সমালোচনামূলক দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করতে পারে। ফ্রিডম্যান (২০১৫)-এর ভিয়েতনাম যুদ্ধ সংক্রান্ত গবেষণায় দেখা যায় যে প্রাথমিক উৎস বিশ্লেষণের মাধ্যমে এবং পাঠ্যপুস্তকের সাথে তুলনা করে শিক্ষার্থীরা বুঝতে পারে তারা কিভাবে ইতিহাস “ফ্রেম” করে। <ref name="”Freedman”">Freedman, E. B. (2015). “What Happened Needs to Be Told”: Fostering Critical Historical Reasoning in the Classroom. Cognition and Instruction, 33(4), 357–398. http://doi.org/10.1080/07370008.2015.1101465</ref> শিক্ষার্থীদের যদি প্রমাণভিত্তিক ব্যাখ্যা তৈরি করার স্বাধীনতা দেওয়া হয়, তাহলে ইতিহাসকে একটি স্থির জ্ঞানভান্ডার হিসেবে না দেখে তারা এটি বিশ্লেষণমূলকভাবে চিন্তা করতে শিখবে।
'''ধারাবাহিকতা ও পরিবর্তন'''
ধারাবাহিকতা ও পরিবর্তনের ধারণা গড়ে তুলতে হলে শিক্ষার্থীদের বুঝতে হবে ইতিহাসের ধারাবাহিকতায় এই দুটি উপাদান একসঙ্গে থাকে; কিছু জিনিস পরিবর্তিত হয়, আবার কিছু একই রকম থাকে। শিক্ষার্থীরা যদি নিজেদের জীবনে এই দুটি উপাদান চিহ্নিত করতে পারে, তাহলে তারা ইতিহাস অধ্যয়নে তা প্রয়োগ করতে পারবে। <ref name="S">Seixas, P., Morton, T., Colyer, J., & Fornazzari, S. (2013). The Big Six: Historical thinking Concepts. Toronto: Nelson Education.</ref> শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করা উচিত ইতিহাসের পরিবর্তনের গতি ও গভীরতা ব্যাখ্যা করতে এবং এটি অগ্রগতি না পতনের নিদর্শন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে।<ref name="S" /> ইতিহাসের পরিবর্তন ইতিবাচক না নেতিবাচক তা মূল্যায়ন সম্পূর্ণরূপে দর্শকের দৃষ্টিভঙ্গির উপর নির্ভর করে।
একটি উদাহরণ হলো সংস্কৃতি ও জাতীয় পরিচয়ের ধারাবাহিকতা। ক্যারেটেরো ও ভ্যান আলফেন (২০১৪) আর্জেন্টিনার উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে “মাস্টার ন্যারেটিভ” বিশ্লেষণ করে দেখান কিভাবে পরিচয় ইতিহাস শিক্ষায় সহায়ক হলেও অতীত ও বর্তমান গুলিয়ে ফেলতে পারে, যেমন বিজয়ী যুদ্ধ বা বিপ্লবের ক্ষেত্রে “আমরা” শব্দ ব্যবহার করা যা একটি জাতি গঠনে ভূমিকা রেখেছে (পৃষ্ঠা ৩০৮-৩০৯)। <ref name="CA" /> তাই শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সময় পর্ব চিহ্নিত করতে শেখানো জরুরি। তবে, '''ইতিহাসের পর্যায় বিভাজন''' নিজেই একটি ব্যাখ্যামূলক কাজ এবং এটি ইতিহাসবিদদের করা প্রশ্নের উপর নির্ভর করে। <ref name="S" />
শিক্ষায় প্রযুক্তির ব্যবহার, যেমন ইন্টারঅ্যাকটিভ টাইমলাইন, ইতিহাসভিত্তিক গেমস এবং অনলাইন আলোচনা, শিক্ষার্থীদের অতীত ও বর্তমানের মধ্যে সংযোগ গড়ে তুলতে সাহায্য করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, কানাডার মেডিকেয়ার বিষয়ে সভ্যতার জাদুঘর একটি ইন্টারঅ্যাকটিভ শিক্ষণ সরঞ্জাম সরবরাহ করে (http://www.museedelhistoire.ca/cmc/exhibitions/hist/medicare/medic01e.shtml)। ইন্টারঅ্যাকটিভ টাইমলাইন শিক্ষার্থীদের ধারাবাহিকতা, পরিবর্তন, কারণ ও পরিণতির মধ্যে সংযোগ দেখতে সহায়তা করে। এছাড়াও, শক্তিশালী অনুসন্ধানমূলক প্রশ্নের মাধ্যমে টাইমলাইনের নির্দেশনা দিলে শিক্ষার্থীদের বোঝাপড়া আরও গভীর হতে পারে এবং ঐতিহাসিক চিন্তা দক্ষতা বিকাশে সহায়তা করে।
উদাহরণস্বরূপ, ইউরোপীয় রেনেসাঁ সম্পর্কে একটি অনুসন্ধান নিম্নোক্ত প্রশ্ন দ্বারা পরিচালিত হতে পারে: “ইউরোপের সকলেই কি রেনেসাঁকে একইভাবে অভিজ্ঞতা করেছে?” এই ধরনের প্রশ্ন খোলা-প্রান্তিক হয় যাতে শিক্ষার্থীদের অনুসন্ধানকে নির্দিষ্ট পথে সীমাবদ্ধ না করে, বরং রেনেসাঁর পরিবর্তন এবং ইউরোপীয় সমাজের ধারাবাহিকতার মধ্যে একটি সম্পর্ক নির্দেশ করে। ঐতিহাসিক চিন্তাকে সহায়তা করার জন্য শিক্ষাগত প্রযুক্তির অন্যান্য উদাহরণগুলোর মধ্যে “''ওয়ার্ল্ড হিস্ট্রি ফর অল অফ আস''” (''আমাদের সকলের জন্য বিশ্ব ইতিহাস'' ''-'' [http://worldhistoryforusall.sdsu.edu/ http://worldhistoryforusall.এসডিsu.edu/]) প্রকল্প অন্তর্ভুক্ত। এই ওয়েবসাইটটি বিশ্ব ইতিহাসের ইউনিটগুলোকে বৃহৎ পরিসর এবং স্থানীয় পর্যায়ে ভাগ করেছে এবং তা ঐতিহাসিক সময়কাল অনুসারে সংগঠিত। পাঠ পরিকল্পনা এবং সংস্থানগুলো শিক্ষার্থীদের স্থানীয় ইস্যু ও বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটের মধ্যে সংযোগ স্থাপনে সহায়তা করতে পারে। এটি বিশ্ব ইতিহাসকে প্রভাবিত করে। অবশেষে, ব্ল্যাকেনশিপ (২০০৯) এর একটি কেস স্টাডি প্রস্তাব করে যে অনলাইন আলোচনা গোষ্ঠীগুলি সমালোচনামূলক চিন্তন বিকাশে উপকারী, কারণ এগুলোর মাধ্যমে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের চিন্তার প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করতে পারেন এবং ফলস্বরূপ, গঠনমূলক মূল্যায়ন ও প্রয়োজনীয় শিক্ষণ হস্তক্ষেপের ধরন নির্ধারণে সহায়তা পান। ব্ল্যাকেনশিপ (২০০৯) আরও গবেষণার উল্লেখ করেন যা অনলাইন আলোচনার পক্ষে যুক্তি দেয়, কারণ এতে শিক্ষার্থীরা আলোচনার আগে তাদের চিন্তা সংগঠিত করতে পারে; এতে তাদের পূর্ববর্তী জ্ঞান কাজে লাগাতে এবং নিজের ধারণা বিবেচনা করার জন্য বেশি সময় পাওয়া যায়। <ref>Blackenship, W. (2009). Making connections: Using online discussion forums to engage students in historical inquiry. Social Education, 73(3), 127-130.</ref>
'''কারণ ও পরিণতি'''
ঐতিহাসিক চিন্তার দক্ষতা হিসেবে কারণ ও পরিণতির ধারণা শিক্ষার্থীদেরকে ঐতিহাসিক ঘটনাবলীর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কারণ এবং তার তাৎক্ষণিক ও দীর্ঘমেয়াদি পরিণতি চিহ্নিত করতে পারার দক্ষতা অর্জনে সহায়তা করে। ঐতিহাসিক পরিবর্তনের কারণগুলি বোঝার জন্য ব্যক্তির কর্মকাণ্ড ও সেই সময়ের প্রচলিত পরিস্থিতি উভয়কেই স্বীকৃতি দেওয়া প্রয়োজন। ঐতিহাসিক চিন্তা শিক্ষার্থীদেরকে সরল, তাৎক্ষণিক কারণের বাইরে গিয়ে ইতিহাসকে “পারস্পরিকভাবে সংযুক্ত কারণ ও পরিণতির একটি জাল” হিসেবে ভাবতে শেখায়। এটির প্রতিটির উপর বিভিন্ন প্রভাব রয়েছে (পৃষ্ঠা ১১০)। <ref name="S2" /> অতীতকে আরও ভালভাবে বোঝার পাশাপাশি, এই দক্ষতাগুলি শিক্ষার্থীদের বর্তমানের দ্বন্দ্ব ও সমস্যাগুলো বোঝতেও সহায়তা করতে পারে। শ্রেইনার (২০১৪) নবীন/বিশেষজ্ঞ বিন্যাস ব্যবহার করে যাচাই করেন কীভাবে মানুষ ইতিহাসের জ্ঞান ব্যবহার করে বর্তমান ঘটনার বিষয়ে যুক্তিসঙ্গত সিদ্ধান্তে পৌঁছায়। উপরে উল্লিখিত ওয়াইনবার্গ (১৯৯১) গবেষণার অনুরূপভাবে, শ্রেইনার (২০১৪) দেখতে পান যে বিশেষজ্ঞরা প্রেক্ষাপট স্থাপন এবং উৎস বিশ্লেষণে বেশি দক্ষ। এটি তাদেরকে দলিলের নির্ভরযোগ্যতা ও ব্যবহারিকতা যাচাই করে যুক্তিসঙ্গত রায়ে পৌঁছাতে সাহায্য করে। এছাড়াও, গবেষণায় দেখা যায় যে শিক্ষার্থীরা অর্থ নির্মাণে বর্ণনা ব্যবহার করে, তবে তারা সাধারণত “স্কিমেটিক ন্যারেটিভ টেমপ্লেট” তৈরি করে। এটি অতীত সম্পর্কে সাধারণ বিবৃতি দেয় কিন্তু নির্দিষ্ট তথ্য ও ঘটনা থাকে না। <ref>Shreiner, T. L. (2014). Using Historical Knowledge to Reason About Contemporary Political Issues: An Expert–Novice Study. Cognition and Instruction, 32(4), 313–352. http://doi.org/10.1080/07370008.2014.948680</ref> সেইক্সাস ও মর্টন (২০১৩) অতিসরলেখ টাইমলাইন ব্যবহারে সাবধান করে দেন কারণ এতে ইতিহাসকে বিচ্ছিন্ন ঘটনাবলীর একটি তালিকা মনে হতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে যে ঐতিহাসিক বর্ণনা যা সময়কালভিত্তিক এবং কারণ-পরিণতি সম্পর্কযুক্ত, সেইসাথে সময়ের সাথে পরিবর্তন অন্তর্ভুক্ত করে, তা বর্তমান ইস্যু বোঝার জন্য সহায়ক।<ref name="S2" /> সুতরাং, শিক্ষকদের উচিত শিক্ষার্থীদের মধ্যে এই দক্ষতাগুলির বিকাশ ঘটানো। ঐতিহাসিক পরিবর্তনের মতোই, ইতিহাসের কিছু কর্মকাণ্ডের পরিণতি বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি অনুযায়ী ইতিবাচক বা নেতিবাচক হিসেবে দেখা যেতে পারে। এটি নিচে আরও বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হবে।
'''ঐতিহাসিক দৃষ্টিভঙ্গি ও নৈতিকতা'''
সেইক্সাস ও মর্টনের প্রস্তাবিত চূড়ান্ত দুটি ঐতিহাসিক চিন্তার দক্ষতা হলো ঐতিহাসিক দৃষ্টিভঙ্গি ও নৈতিকতা। ঐতিহাসিক দৃষ্টিভঙ্গি বলতে ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট বিশ্লেষণ বোঝায়। এটি একটি ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্বকে কোনো ঘটনা বা কর্মকাণ্ড নির্দিষ্টভাবে দেখাতে বা কাজ করতে প্রভাবিত করে। এতে অন্তর্ভুক্ত হতে পারে ধর্মীয় বিশ্বাস, সামাজিক অবস্থান, ভৌগোলিক অবস্থান, সময়কাল, প্রচলিত অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং সামাজিক/সাংস্কৃতিক অবস্থা। এখানে প্রমাণ ব্যাখ্যার প্রয়োজন হয় কারণ প্রায়শই আমাদের কাছে এমন তথ্য থাকে না যা সরাসরি কোনো ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্বের মনোভাব বা কার্যকারণের কারণ ব্যাখ্যা করে। প্রাথমিক উৎস দলিল, যেমন চিঠি বা ডায়েরি, কিছুটা ধারণা দিতে পারে, কিন্তু তবুও ঐতিহাসিকদেরকে তথ্যগুলো ব্যাখ্যা করে তা বৃহত্তর ঐতিহাসিক বর্ণনা বা কোনো ব্যক্তির জীবনীচিত্রে সংযুক্ত করতে হয়। পাশাপাশি, “কঠোর পরিসংখ্যান, যেমন জন্ম ও মৃত্যুহার, বিবাহের গড় বয়স, সাক্ষরতার হার, এবং পরিবারের আকার... এগুলো আমাদের মানুষের অভিজ্ঞতা, চিন্তা ও অনুভূতি সম্পর্কে ধারণা করতে সহায়তা করে” (পৃষ্ঠা ১৪৩)। <ref name="S2" /> অবশ্যই, অতীত সম্পর্কে আমাদের অনুমান করার সীমাবদ্ধতা রয়েছে; তবে সেইক্সাস ও মর্টন (২০১৩) প্রস্তাব করেন যে অতীত সম্পর্কে আমরা কী জানি না, তা স্বীকার করাও “সুস্থ ঐতিহাসিক চিন্তার” অংশ (পৃষ্ঠা ১৪৩)। <ref name="S2" /> শিক্ষার্থীরা অতীত ও বর্তমান জীবনধারা ও দৃষ্টিভঙ্গির পার্থক্য পর্যবেক্ষণ করে, যেসব মানবিক বৈশিষ্ট্য সময় অতিক্রম করে বিদ্যমান থাকে (যেমন সন্তানের প্রতি ভালোবাসা), তা চিহ্নিত করে এবং '''বর্তমানতাবাদ''' ও '''কালগত ভুল''' এড়িয়ে ঐতিহাসিক দৃষ্টিভঙ্গি অনুশীলন করতে পারে। <ref name="S2" /> ঐতিহাসিক দৃষ্টিভঙ্গির গভীরতর বোঝাপড়া শিক্ষার্থীদের সহায়তা করবে যখন তারা বিরোধপূর্ণ ঐতিহাসিক ব্যাখ্যার মুখোমুখি হবে, কারণ তারা দেখতে পারবে ঐতিহাসিক ব্যক্তিরা কোন প্রেক্ষাপট থেকে এসেছে এবং সে অনুযায়ী তাদের কর্মকাণ্ড বুঝতে পারবে। ঐতিহাসিক দৃষ্টিভঙ্গি ও নৈতিকতা একে অপরের সাথে সম্পর্কযুক্ত। সেইক্সাস ও মর্টন (২০১৩) যুক্তি দেন যে “ঐতিহাসিক চিন্তার নৈতিক মাত্রা ইতিহাস অধ্যয়নে অর্থ প্রদান করে” (পৃষ্ঠা ১৭০)। <ref name="S2" /> কোনো ব্যক্তির কর্মকাণ্ডের নৈতিক কারণ বোঝার জন্য আমাদের ঐতিহাসিক, ভৌগোলিক ও সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপটের প্রভাব বুঝতে হয়। পাশাপাশি, অতীতের নৈতিক পরিণতি বোঝার জন্য আমাদের নৈতিক মূল্যায়ন করতে হয়। এটি “সহানুভূতিশীল বোঝাপড়া [চাই]; তাদের ও আমাদের নৈতিক জগতের পার্থক্য বোঝা” (সিক্সাস এবং পেক, ২০০৪, পৃষ্ঠা ১১৩)। <ref>Seixas, P., & Peck, C. (2004). Teaching Historical Thinking. Challenges and Prospects for Canadian Social Studies, 109–117.</ref> ঐতিহাসিক চিন্তার অভিজ্ঞতা কম থাকলে শিক্ষার্থীরা বর্তমান সমাজের নৈতিক মানদণ্ড থেকে অতীতকে আলাদা করে ভাবতে পারে না। এছাড়াও, শিক্ষার্থীরা প্রায়শই অন্যান্য সংস্কৃতিকে নিজেদের সংস্কৃতির তুলনায় বেশি সমালোচনামূলক দৃষ্টিতে দেখে; অনেক সময় নিজেদের জাতির কর্মকাণ্ডকে সমর্থন বা যৌক্তিকতা দেয়। <ref name="L">Lopez, C., Carretero, M., & Rodriguez-Moneo, M. (2014). Telling a national narrative that is not your own. Does it enable critical historical consumption? Culture & Psychology , 20 (4 ), 547–571. http://doi.org/10.1177/1354067X14554156</ref> তাই, লোপেজ, কারেতেরো এবং রদ্রিগেজ-মোনেও (২০১৪) প্রস্তাব করেন যে শিক্ষার্থীদের নিজেদের দেশের বাইরে অন্য জাতির জাতীয় বর্ণনা বিশ্লেষণে ব্যবহার করলে সমালোচনামূলক ঐতিহাসিক চিন্তা আরও কার্যকরভাবে বিকাশ লাভ করে। যখন শিক্ষার্থীরা অতীতের নৈতিক সিদ্ধান্ত বিশ্লেষণে দক্ষ হয়, তখন তারা এই দক্ষতা বর্তমান সময়ের নৈতিক প্রশ্ন বিশ্লেষণে প্রয়োগ করতে পারে। ভূমিকাভিত্তিক অভিনয় ঐতিহাসিক দৃষ্টিভঙ্গি শেখানোর একটি কার্যকর শিক্ষণ কৌশল। ঐতিহ্যগত, সামনাসামনি শ্রেণিকক্ষে নাট্যভিত্তিক ভূমিকা পালন, বিতর্ক এবং মক ট্রায়াল পরিচালনা করা যায় যেখানে শিক্ষার্থীরা ইতিহাসের কোনো ব্যক্তি বা সামাজিক গোষ্ঠীর ভূমিকায় অভিনয় করতে পারে। এছাড়াও, শিক্ষামূলক গেম এবং ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এই কৌশলের সাথে প্রযুক্তির একত্রীকরণ করা যায়। হুইটওয়ার্থ ও বারসন (২০০৩) দেখতে পান যে ১৯৯০-২০০০ এর দশকে সামাজিক বিজ্ঞানের শ্রেণিকক্ষে প্রযুক্তি মূলত ইন্টারনেটকে শ্রেণিকক্ষে ব্যবহৃত উপকরণের ডিজিটাল সংস্করণ হিসেবে ব্যবহারে সীমাবদ্ধ ছিল। তারা প্রস্তাব করেন যে প্রযুক্তির বিকল্প ব্যবহার—যেমন অনুসন্ধানভিত্তিক ওয়েবকোয়েস্ট, সিমুলেশন, এবং সহযোগিতামূলক কর্মপরিবেশ—শিক্ষার্থীদের মধ্যে পারস্পরিক যোগাযোগ ও সমালোচনামূলক চিন্তন দক্ষতা বাড়ায়। <ref>Whitworth, S. A., & Berson, M. J. (2003). Computer technology in the social studies: An examination of the effectiveness literature (1996-2001). Contemporary Issues in Technology and Teacher Education [Online serial], 2(4). Retrieved from http://www.citejournal.org/volume-2/issue-4-02/social-studies/computer-technology-in-the-social-studies-an-examination-of-the-effectiveness-literature-1996-2001</ref> ভূমিকা-ভিত্তিক চিন্তা উন্নয়নে সহায়ক শিক্ষণ উপকরণের একটি উদাহরণ হলো মুসে-ম্যাককর্ড-এর অনলাইন গেম সংগ্রহ (http://www.mccord-museum.qc.ca/en/keys/games/)। বিশেষভাবে, ভিক্টোরিয়ান যুগ এবং গর্জে ওঠা বিশের দশকের গেমগুলো শিক্ষার্থীদের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে উপযুক্ত সিদ্ধান্ত নিতে এবং সেই সময়কাল অতিক্রম করতে সহায়তা করে। এই গেমগুলো জাদুঘরের সংশ্লিষ্ট সংস্থানগুলোর সাথে সংযুক্ত। এটি শিক্ষার্থীদের ঐতিহাসিক সময়কাল সম্পর্কে গভীরতর বোঝাপড়া গড়ে তুলতে পারে। ইতিহাসের নৈতিক উপাদান শেখাতে ঐতিহাসিক বর্ণনা, ঐতিহাসিক ঘটনাবলীর উপর নৈতিক অবস্থান নিয়ে বিতর্ক এবং গৌণ তথ্যসূত্র বিশ্লেষণের কৌশল ব্যবহার করা যেতে পারে।
সারাংশে, পেশাদার ঐতিহাসিকদের ইতিহাস অধ্যয়নের কৌশল শিক্ষার্থীদের মধ্যে ঐতিহাসিক চিন্তা উন্নয়নে সহায়ক বলে বিবেচিত হয়। পেশাদার ঐতিহাসিকদের প্রমাণ মিলিয়ে দেখা, উৎস বিশ্লেষণ, এবং ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট প্রতিষ্ঠার মত জ্ঞানীয় প্রক্রিয়াগুলি সেইক্সাস ও মর্টনের ''দ্য বিগ সিক্স হিস্ট্রিকাল থিংকিং কনসেপ্ট'' (''ছয়টি বড় ঐতিহাসিক চিন্তাভাবনার ধারণা'' - ২০১৩)-এ প্রতিফলিত হয়েছে। ঐতিহাসিক চিন্তা শিক্ষার্থীদের সমস্যা সমাধানের দক্ষতা দেয়। এটি তাদের অতীত বোঝার পাশাপাশি বর্তমানের সাথে যুক্ত করে, তাদের দৃষ্টিভঙ্গিকে প্রসারিত করে, প্রচলিত সামাজিক অবস্থাগুলো উপলব্ধি করতে এবং পৃথিবীর সাথে তাদের সম্পর্ক গঠনে প্রভাব ফেলে। ঐতিহাসিক চিন্তা প্রকল্পের ওয়েবপেজ (http://historicalthinking.ca/lessons) এ সমস্ত ঐতিহাসিক দক্ষতার জন্য শিক্ষণ কৌশল দেখা যাবে।
== অ্যাকাডেমিক বিতর্কের মাধ্যমে শিক্ষা ==
''[[চিন্তন ও নির্দেশনা/সমস্যা সমাধান, সমালোচনামূলক চিন্তন ও যুক্তি#glos অ্যাকাডেমিক বিতর্ক|অ্যাকাডেমিক বিতর্কের]]'' পদ্ধতি ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের বিতর্ক ও সমালোচনামূলক চিন্তার দক্ষতা শেখানো একটি কার্যকর উপায় হতে পারে। অ্যাকাডেমিক বিতর্কে চারজনের একটি সহযোগিতামূলক দলকে দুটি জোড়ায় ভাগ করে একটি বিতর্ক বা বিষয়ে বিপরীত অবস্থান দেওয়া হয়, এরপর উভয় জোড়া তাদের নির্ধারিত অবস্থানের পক্ষে যুক্তি দেয়। তারপর তারা তাদের অবস্থান পরিবর্তন করে আবার যুক্তি উপস্থাপন করে, এবং অবশেষে, চারজনের দলটি মিলে একটি সর্বজনীন সমাধানে পৌঁছায় <ref>Johnson, D. W., & Johnson, R. T. (1993). Creative and critical thinking through academic controversy. The American Behavioral Scientist, 37(1), 40-53. Retrieved from https://www.proquest.com/docview/1306753602</ref>। এই কার্যক্রম বিতর্ক ও সমালোচনামূলক চিন্তার উভয় দিক শেখাতে কার্যকর হতে পারে, যদিও এটি কিছুটা পুরনো হতে পারে। কার্যক্রমটি স্বভাবতই বিতর্কমূলক, কারণ শিক্ষার্থীদের দুটি ভিন্ন অবস্থানের জন্য যুক্তি ও দাবির উদ্ভাবন করতে হয়। এই ভারসাম্য বিতর্কের প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি শিক্ষার্থীদের তাদের নিজস্ব যুক্তি ও বিপক্ষের যুক্তি মূল্যায়নের সুযোগ দেয়। এটি যেকোনো বিতর্কে উপকারী হতে পারে। এছাড়াও, এই কার্যক্রম শিক্ষার্থীদের সমালোচনামূলক চিন্তার কয়েকটি দিক যেমন মূল্যায়ন, যুক্তিবোধ, এবং আত্মপর্যালোচনার সাথে যুক্ত করে, কারণ শিক্ষার্থীদের একটি সমন্বিত সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে হয়। এটি তাদের বিশ্লেষণাত্মক ও উদার মানসিকতা চর্চা করতে বাধ্য করে। এই কার্যক্রম শিক্ষার্থীদের উন্মুক্ত মন ও বিশ্লেষণাত্মক বিতর্কে অংশগ্রহণে উৎসাহিত করে। এটি সমালোচনামূলক চিন্তা ও বিতর্ক দক্ষতা বৃদ্ধিতে সহায়ক।
= শব্দকোষ =
; অ্যাকাডেমিক বিতর্ক
: একটি দ্বি-রাউন্ড বিতর্ক প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে ৪ জনের একটি সমবায় গ্রুপ বিরোধী জোড়ায় বিভক্ত হয় যা একটি বিতর্কে জড়িত। প্রতিটি জুটি তাদের নিজস্ব অবস্থানের জন্য যুক্তি দেয় এবং পরবর্তী রাউন্ডে বিরোধী অবস্থানে স্যুইচ করে।
; অ্যালগরিদম
: পদ্ধতিগুলো নির্দিষ্ট সমস্যাগুলোতে প্রয়োগ করা যেতে পারে যা সঠিকভাবে কার্যকর করা হলে সঠিক উত্তরের নিশ্চয়তা দেয়।
; অ্যানাক্রোনিজম
: এক সময়কালের বৈশিষ্ট্য বা ঘটনাকে অন্য সময়কালের জন্য দায়ী করা।
; বিশ্লেষণ
: আরও অনুমান এবং ব্যাখ্যার অনুমতি দেওয়ার জন্য প্রাসঙ্গিক তথ্য সনাক্তকরণ এবং নির্বাচন।
; যুক্তিতর্ক
: কোনও দাবি বা ধারণাকে সমর্থন বা খণ্ডন করার জন্য যুক্তি ব্যবহার করার প্রক্রিয়া।
; ক্রিটিক্যাল থিংকিং
: তথ্য ওজন, মূল্যায়ন এবং বোঝার সমন্বয়ে একটি প্রতিফলিত চিন্তাভাবনা
; ছাড়
: এক ধরণের যুক্তি যেখানে সাধারণ থেকে নির্দিষ্ট সিদ্ধান্তগুলো তৈরি করা হয়, প্রদত্ত তথ্য
; বর্ণনামূলক মডেল
: একটি নির্দেশমূলক পদ্ধতি যা ব্যাখ্যা করে যে কীভাবে ভাল চিন্তাভাবনা ঘটে।
; নকশা চিন্তাভাবনা
: শিক্ষার্থী কেন্দ্রিক শিক্ষা একটি বাস্তব-বিশ্বের সমস্যার সমাধান খুঁজে বের করার সাথে জড়িত।
; সরাসরি নির্দেশনা
: একটি গাইডেড লার্নিং পদ্ধতি যা সরাসরি জ্ঞানীয় দক্ষতা শেখায় এবং জ্ঞান স্পষ্টভাবে শিক্ষক থেকে শিক্ষার্থীর কাছে প্রেরণ করা জড়িত।
; স্বভাব [সমালোচনামূলক চিন্তার জন্য]
: বুদ্ধিবৃত্তিক আচরণে জড়িত হওয়ার জন্য একটি ঝোঁক, এই ধরনের আচরণগুলো জড়িত হতে পারে এমন সুযোগগুলোর প্রতি সংবেদনশীলতা এবং সমালোচনামূলক চিন্তনয় জড়িত হওয়ার জন্য একটি সাধারণ ক্ষমতা সহ সচেতনভাবে একটি দক্ষতা চয়ন করার ক্ষমতা।
; ডাইভারজেন্ট থিংকিং
: একাধিক এবং বৈচিত্র্যময় সমাধানের প্রজন্ম এবং পরীক্ষার দ্বারা চিহ্নিত চিন্তাভাবনা।
; ডোমেন নির্দিষ্ট জ্ঞান
: একটি বিশেষ এলাকা বা ক্ষেত্রের জ্ঞান।
; জ্ঞানতাত্ত্বিক বিশ্বাস
: প্রকৃতি ও জ্ঞান অর্জন সম্পর্কে বিশ্বাস।
; মূল্যায়ন
: বিশ্লেষণ, বিচার এবং ওজন করার উপ দক্ষতার জন্য একটি ছাতা শব্দ
; কার্যকরী স্থিরতা
: একটি পক্ষপাত যা কোনও ব্যক্তিকে কেবলমাত্র দৈনন্দিন জীবনে যেভাবে ব্যবহৃত হয় সেভাবে কোনও বস্তু ব্যবহার করতে সীমাবদ্ধ করে।
; অসুস্থ-সংজ্ঞায়িত সমস্যা
: যে সমস্যাগুলোর একটি সুস্পষ্ট লক্ষ্য, সমাধানের পথ বা প্রত্যাশিত উত্তর নেই।
; পরোক্ষ নির্দেশনা
: শিক্ষার্থী কীভাবে শেখানো উপাদানকে ব্যাখ্যা করে তার উপর জোর দিয়ে উপাদানগুলোর শিক্ষার্থী-ভিত্তিক নির্দেশনা
; আনয়ন
: এক ধরণের যুক্তি যেখানে নির্দিষ্ট তথ্য থেকে সাধারণ সিদ্ধান্তে আসা হয়
; অনুমান
: জ্ঞানের দুটি ইউনিটের মধ্যে এক ধরণের সংযোগ বা সমিতি
; অনুসন্ধান ভিত্তিক নির্দেশনা
: ন্যূনতম নির্দেশিত শিক্ষার একটি ফর্ম যা শিক্ষার্থীদের উপকরণগুলোর নিজস্ব বোঝার তৈরি করতে দেয়।
; জ্ঞান
: একজনের কাছে যে তথ্য রয়েছে, এর মধ্যে পরিচিত তথ্যের মধ্যে সংযোগ এবং সমিতি অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে
; মেটাকগনিশন
: জ্ঞান মানুষের নিজস্ব চিন্তা সম্পর্কে থাকে।
; পর্যায়ক্রম
: অতীতকে সময়ের স্বতন্ত্র ব্লকে শ্রেণিবদ্ধ করা (সময়কাল)।
; প্রেসক্রিপশন মডেল
: একটি নির্দেশমূলক পদ্ধতি যা ভাল চিন্তাভাবনার মানদণ্ড এবং বৈশিষ্ট্যগুলো ব্যাখ্যা করে
; উপস্থাপনবাদ
: বর্তমান সময়ের মূল্যবোধ এবং ধারণাগুলো ব্যবহার করে অতীতের ঘটনাগুলো ব্যাখ্যা করার প্রবণতা।
; সমস্যা ভিত্তিক শিক্ষা
: একটি ছাত্র-কেন্দ্রিক পদ্ধতি যেখানে শিক্ষার্থীরা একটি উন্মুক্ত সমস্যা বা প্রশ্ন সমাধানের অভিজ্ঞতার মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট বিষয় সম্পর্কে শিখতে পারে।
; সমস্যা উপস্থাপনা
: সমস্যা সমাধানকারীদের সমস্যাটি আরও ভালভাবে কল্পনা করার অনুমতি দেয় এবং এইভাবে তাদের সমাধানে পৌঁছাতে সহায়তা করে।
; সমস্যা সমাধান
: কগনিটিভ প্রসেসিং 'একটি লক্ষ্য অর্জনের জন্য ব্যবহৃত হয় যখন সমাধানকারীর কাছে কোনও সমাধান স্পষ্ট হয় না।
; উৎপাদন
: তর্কের প্রজন্ম
; প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা
: একটি ছাত্র-কেন্দ্রিক পদ্ধতি যেখানে শিক্ষার্থী একটি নির্দিষ্ট নকশা প্রক্রিয়ার মাধ্যমে একটি জটিল চ্যালেঞ্জের প্রতিক্রিয়া জানায়।
; স্ব-নিয়ন্ত্রণ
: নিজের শেখার ক্ষেত্রে মেটাকগনিটিভ, আচরণগতভাবে এবং অনুপ্রেরণামূলকভাবে সক্রিয় হওয়ার প্রক্রিয়া
; দক্ষতা কর্মসূচী
: সমস্যা সমাধানের মতো বিকল্প শিক্ষণ পদ্ধতির মাধ্যমে সিটি দক্ষতার বিকাশের সুবিধার্থে নকশা করা শিক্ষামূলক পাঠ্যক্রম
; সুসংজ্ঞায়িত সমস্যা
: যে সমস্যাগুলোর একটি সুস্পষ্ট লক্ষ্য, সমাধানের পথ বা প্রত্যাশিত উত্তর নেই।
= প্রস্তাবিত পাঠ =
# আব্রামি, পি.সি., বার্নার্ড, আর.এম., বোরোখভস্কি, ই., ওয়েড, এ., সার্কস, এম.এ., তামিম, আর., এবং ঝাং, ডি (২০০৮)। সমালোচনামূলক চিন্তন দক্ষতা এবং স্বভাবগুলোকে প্রভাবিত করে এমন নির্দেশমূলক হস্তক্ষেপ: একটি পর্যায় ১ মেটা-বিশ্লেষণ। শিক্ষাগত গবেষণা পর্যালোচনা, ৭৮ (৪)। ১১০২-১১৩৪. ডিওআই: ১০.৩১০২ / ০০৩৪৬৫৪৩০৮৩২৬০৮৪।
# Phan, H.P. (২০১০)। শিক্ষণ এবং শেখার ক্ষেত্রে একটি স্ব-নিয়ন্ত্রক প্রক্রিয়া উপাদান হিসাবে সমালোচনামূলক চিন্তন। সাইকোথেমা, ২২ (২)। ২৮৪-২৯২.
# Kozulin, A. & Presseisen, B.Z. (১৯৯৫)। মধ্যস্থতা শেখার অভিজ্ঞতা এবং মনস্তাত্ত্বিক সরঞ্জাম: শিক্ষার্থী শেখার একটি গবেষণায় ভাইগটস্কি এবং ফয়েরস্টাইনের দৃষ্টিভঙ্গি। শিক্ষাগত মনোবিজ্ঞানী, ৩০ (২), ৬৭-৭৫।
# Crowell, A., & Kuhn, D. (২০১১)। তরুণ কিশোর-কিশোরীদের চিন্তাভাবনা বিকাশের বাহন হিসাবে সংলাপমূলক যুক্তি। মনস্তাত্ত্বিক বিজ্ঞান, ২২ (৪), ৫৪৫-৫৫২। ডিওআই: ১০.১১৭৭ / ০৯৫৬৭৯৭৬১১৪০২৫১২।
== বহিঃসংযোগ ==
nv2zu7svnfp6c8nepdyqx6kc2hn34x8
85800
85799
2025-07-07T22:14:28Z
NusJaS
8394
85800
wikitext
text/x-wiki
আমরা প্রতিনিয়ত এমন বহু অস্পষ্টতা, মিথ্যা তথ্য, চ্যালেঞ্জ কিংবা পরিস্থিতির মুখোমুখি হই যা আমাদের ''[[চিন্তন ও নির্দেশনা/সমস্যা সমাধান, সমালোচনামূলক চিন্তন ও যুক্তি#glos সমালোচনামূলক চিন্তন|সমালোচনামূলক চিন্তন]],'' ''[[চিন্তন ও নির্দেশনা/সমস্যা সমাধান, সমালোচনামূলক চিন্তন ও যুক্তি#glos সমস্যা সমাধানের দক্ষতা|সমস্যা সমাধানের দক্ষতা]]'', এবং ''[[চিন্তন ও নির্দেশনা/সমস্যা সমাধান, সমালোচনামূলক চিন্তন ও যুক্তি#glos যুক্তি প্রদর্শনের দক্ষতা|যুক্তি প্রদর্শনের দক্ষতা]]'' প্রয়োগের দাবি রাখে। যদিও এই তিনটি শব্দ প্রায়ই একে অপরের পরিবর্তে ব্যবহার করা হয়, তবে এগুলোর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য রয়েছে। সমালোচনামূলক চিন্তন আমাদের পাঁচটি ইন্দ্রিয়ের মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্যের সাথে সক্রিয়ভাবে যুক্ত হতে এবং সেসব তথ্য নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা করতে সক্ষম করে। এটি আমাদের জ্ঞান বিশ্লেষণ, সমালোচনা, প্রয়োগ এবং নতুন ধারণা তৈরির ক্ষমতা প্রদান করে। সমালোচনামূলক চিন্তনকে সমস্যার সমাধান ও যুক্তি প্রদর্শনের একটি বিস্তৃত জ্ঞানগত দক্ষতা হিসেবে ধরা যায়। সমালোচনামূলক চিন্তনের মাধ্যমে আমরা কিছু যৌক্তিক সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারি, তবে সবসময় একটি নির্দিষ্ট 'সঠিক' ধারণা থাকে না। যা আমাদের কাছে 'সঠিক' মনে হয়, তা প্রায়ই খুবই বিষয়ভিত্তিক।
সমস্যা সমাধান হচ্ছে সমালোচনামূলক চিন্তনের একটি রূপ। এখানে শিক্ষার্থীদের এমন সিদ্ধান্ত নিতে হয় যা একটি নির্দিষ্ট সঠিক উত্তরের পরিবর্তে সম্ভাব্য সেরা সমাধান খুঁজে বের করার দিকে পরিচালিত করে, তা সমস্যা সুনির্দিষ্ট হোক বা অস্পষ্ট। সমস্যার সমাধানে অংশগ্রহণের একটি উপায় হলো জ্ঞানীয় শিক্ষক বা কগনিটিভ টিউটরের মতো টিউটর সিস্টেম ব্যবহার করা। এটি শিক্ষার্থীদের জন্য সমস্যা কাস্টমাইজ করতে পারে এবং তাদের শেখার অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করে। সমস্যার সমাধানের ক্ষেত্রে একটি বিশেষ পদ্ধতি হলো প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা। এখানে শিক্ষার্থীকে একটি কেন্দ্রীয় প্রশ্ন সমাধানের উপর গুরুত্ব দিয়ে শেখার কেন্দ্রে রাখা হয় এবং একটি বিস্তৃত অনুসন্ধানের মধ্য দিয়ে শেখানো হয়। সমস্যা ভিত্তিক শিক্ষা বাস্তব জীবনের সমস্যা নিয়ে কাজ করে যা শিক্ষার্থীদের বাস্তব অভিজ্ঞতার মাধ্যমে শেখাতে অনুপ্রাণিত করে। আরও একটি পদ্ধতি নকশা চিন্তন। এটি একটি নির্দিষ্ট কাঠামো ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের প্রকৃত সমস্যা সমাধানের জন্য একটি প্রোটোটাইপ তৈরি করতে উৎসাহিত করে। এই প্রক্রিয়াটিতে সহানুভূতি, বাস্তবসম্মত নকশা নীতিমালা এবং প্রোটোটাইপিং এর পরিশোধন প্রমাণ করে যে এখানে সমালোচনামূলক চিন্তন সক্রিয়ভাবে কাজ করছে।
একইভাবে, যুক্তি প্রদর্শন একটি সমালোচনামূলক চিন্তার প্রক্রিয়া। এখানে একক উত্তর না থাকলেও চিন্তা-ভাবনার মধ্যে আলোচনার প্রয়োজন পড়ে। যুক্তি প্রদর্শন বিশেষভাবে একটি দাবি বা ধারণাকে সমর্থন বা খণ্ডন করার জন্য যৌক্তিক ব্যাখ্যা ব্যবহার করে। তুলনামূলকভাবে, সমস্যা সমাধান হয়তো এমন একটি সমাধানে পৌঁছাতে পারে যা প্রমাণভিত্তিক বলে বিবেচিত হয়।
এই অধ্যায়ে এই তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের একটি তাত্ত্বিক পর্যালোচনা প্রদান করা হয়েছে: প্রতিটির বৈশিষ্ট্য, একে অপরের সাথে সম্পর্ক, এবং শ্রেণিকক্ষে বাস্তব প্রয়োগ।
'''শিক্ষার ফলাফল:'''
* সমালোচনামূলক চিন্তনের সংজ্ঞা ও এর জ্ঞানের সাথে পারস্পরিক সম্পর্ক ব্যাখ্যা করা
*
* সমস্যা সমাধানের সংজ্ঞা এবং কীভাবে এটি সমালোচনামূলক চিন্তনের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করে তা ব্যাখ্যা করা
*
* জ্ঞানীয় শিক্ষক কে একটি জ্ঞানীয় শেখার টুল হিসেবে উপস্থাপন করা। এটি সমস্যার সমাধানের মাধ্যমে শেখার মান উন্নত করে
*
* প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা কে সমস্যার সমাধানের একটি নির্দিষ্ট পদ্ধতি হিসেবে অনুসন্ধান করা
*
* নকশা চিন্তন কে প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা-এর একটি উপশ্রেণি হিসেবে বিশ্লেষণ করা এবং শেখার জন্য এর কাঠামো উপস্থাপন করা
*
* যুক্তি প্রদর্শনের সংজ্ঞা এবং এটি কীভাবে সমালোচনামূলক চিন্তার পদ্ধতি ব্যবহার করে তা ব্যাখ্যা করা
*
* যুক্তি প্রদর্শনের জন্য নির্দিষ্ট পদ্ধতি ও প্রয়োগের উপকরণ বিশ্লেষণ করা
= সমালোচনামূলক চিন্তন =
[[চিত্র:Critical_Thinking_Skills_Diagram.jpg|alt=সমালোচনামূলক চিন্তন এবং অন্যান্য জ্ঞানীয় দক্ষতার সাথে এর সম্পর্ক|থাম্ব|সমালোচনামূলক চিন্তন এবং অন্যান্য জ্ঞানীয় দক্ষতার সাথে এর সম্পর্ক]]
সমালোচনামূলক চিন্তন শিক্ষার একটি অত্যন্ত মূল্যবান দিক। মানুষের জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা যত বাড়ে, সমালোচনামূলক চিন্তনের ক্ষমতাও সাধারণত বাড়ে; কিন্তু এই বিকাশ যত তাড়াতাড়ি শুরু করা যায় ততই ভালো। গবেষণায় দেখা গেছে, সমালোচনামূলক চিন্তনের দক্ষতা জ্ঞানের স্থানান্তরের সাথে সম্পর্কযুক্ত, আর এই দক্ষতার অভাব পক্ষপাতদুষ্ট যুক্তির সাথে সম্পর্কিত <ref>Heijltjes, A., Van Gog, T., & Paas, F. (2014). Improving Students' Critical Thinking: Empirical Support for Explicit Instructions Combined with Practice. Applied Cognitive Psychology, 28(4), 518-530.</ref>। শিশুরা প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা শুরু করার আগেই বাড়িতে বাবা-মা ও অভিভাবকদের সাথে পারস্পরিক মিথস্ক্রিয়ার মাধ্যমে সমালোচনামূলক চিন্তন গড়ে তোলে <ref name=":16">Murphy, K. P., Rowe, M. L., Ramani, G., & Silverman, R. (2014). Promoting Critical-Analytic Thinking in Children and Adolescents at Home and in School. Educational Psychology Review, 26(4), 561-578.</ref>। এছাড়াও, স্পষ্ট নির্দেশনা দিলে এই দক্ষতা আরও বাড়ে <ref>Gick, M. L. (1986). Problem-Solving Strategies. Educational Psychologist, 21(1/2), 99-121.</ref>।
সমালোচনামূলক চিন্তন আমাদের এমন সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করে যা আমাদের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে যেমন নির্বাচন। এখানে প্রার্থীরা নিজেদের ও অন্যদের সম্পর্কে পক্ষপাতদুষ্ট তথ্য উপস্থাপন করে, খুব কার্যকর হয়। সমালোচনামূলক চিন্তনের অনুপস্থিতিতে মানুষ মিথ্যা তথ্য ও পক্ষপাতদুষ্ট যুক্তির শিকার হয়ে পড়তে পারে। তাই শিক্ষার্থীদেরকে সমালোচনামূলক চিন্তনের সাথে পরিচিত করানো এবং তারা যেন এটি ব্যবহার করে তা উৎসাহিত করা খুব জরুরি।
=== সমালোচনামূলক চিন্তনের সংজ্ঞা ===
সাধারণভাবে, সমালোচনামূলক চিন্তন বলতে বোঝায় যুক্তি এবং প্রমাণের মূল্যায়নের একটি প্রক্রিয়া। এর মাধ্যমে বিভিন্ন সম্ভাব্য সিদ্ধান্তের মধ্যে সবচেয়ে যথাযথ ও যুক্তিসম্মত সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যায়। এটি একটি গতিশীল এবং প্রতিফলনশীল প্রক্রিয়া। এটি মূলত প্রমাণভিত্তিক <ref name=":15">Ku, K. Y., Ho, I. T., Hau, K., & Lau, E. C. (2014). Integrating direct and ''[[চিন্তন ও নির্দেশনা/সমস্যা সমাধান, সমালোচনামূলক চিন্তন ও যুক্তি#glos Inquiry-Based Instruction|Inquiry_Based Instruction]]'' in the teaching of critical thinking: An intervention study. Instructional Science, 42(2), 251-169.</ref>।
সমালোচনামূলকভাবে চিন্তা করা মানে হলো তথ্যকে নিরপেক্ষভাবে বিশ্লেষণ করা, বিপরীতমুখী মতামত অন্বেষণ করা এবং অবশেষে প্রমাণ ও সুপরিকল্পিত চিন্তার ভিত্তিতে একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছানো। সমালোচনামূলক চিন্তাবিদেরা সরবরাহকৃত তথ্যের বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে, প্রমাণ অনুসন্ধান করে এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও জটিল সমস্যার সমাধানে দ্বিধা করেন না <ref name=":14">Mathews, S. R., & Lowe, K. (2011). Classroom environments that foster a ''[[চিন্তন ও নির্দেশনা/সমস্যা সমাধান, সমালোচনামূলক চিন্তন ও যুক্তি#glos Disposition for Critical Thinking|Disposition for Critical Thinking]]''. Learning Environments Research, 14(1), 59-73.</ref>। প্রশ্ন করা, কোনো বিষয় নিয়ে বিতর্ক করা, এবং তথ্যের উৎসের বিশ্বাসযোগ্যতা পর্যালোচনা করাও সমালোচনামূলক চিন্তার উদাহরণ।
গ্লেজার (১৯৪১) এর মতে, সমালোচনামূলক চিন্তনের তিনটি প্রধান উপাদান আছে: সমালোচনামূলক চিন্তার মানসিকতা, এই চিন্তাভাবনার কৌশল সম্পর্কে জ্ঞান, এবং কৌশলগুলো প্রয়োগ করার সক্ষমতা <ref>Glaser, E. M. (1941). An Experiment in the Development of Critical Thinking. Columbia University.</ref>।
তথ্যকে বিশ্লেষণ ও মূল্যায়নের মতো জ্ঞানীয় প্রক্রিয়াগুলোর মাধ্যমে সমালোচনামূলক চিন্তন কোনো বিষয় বা সমস্যাকে আরও গভীরভাবে বোঝার পথে নিয়ে যায়। চিন্তার একটি প্রতিফলনমূলক রূপ হিসেবে এটি নিজস্ব ধারণা, উদ্দেশ্য, অনুভূতি এবং আচরণ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে <ref name=":13">Phan, H.P. (2010). Critical thinking as a self-regulatory process component in teaching and learning. Psicothema, 22(2). 284-292.</ref>।
{| class="wikitable"
|<big>'''সমালোচনামূলক চিন্তনের উপাদান'''</big>
|-
|''[[চিন্তন ও নির্দেশনা/সমস্যা সমাধান, সমালোচনামূলক চিন্তন ও যুক্তি#glos Knowledge|জ্ঞান]]''
|একটি জ্ঞানের ভিত্তি গড়ে তোলা এবং জ্ঞান অর্জনের জন্য নির্দিষ্ট কৌশল তৈরি করা। এটি নির্দেশনার মাধ্যমে আরও কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
|-
|''[[চিন্তন ও নির্দেশনা/সমস্যা সমাধান, সমালোচনামূলক চিন্তন ও যুক্তি#glos Inference|অনুমান]]''
|বিদ্যমান জ্ঞানের ভিত্তির মধ্যে সংযোগ তৈরি করা ''[[চিন্তন ও নির্দেশনা/সমস্যা সমাধান, সমালোচনামূলক চিন্তন ও যুক্তি#glos Deduction|নির্গমন]]'' এবং/বা ''[[চিন্তন ও নির্দেশনা/সমস্যা সমাধান, সমালোচনামূলক চিন্তন ও যুক্তি#glos Induction|অনুমিতি]]'' এর মাধ্যমে।
|-
|''[[চিন্তন ও নির্দেশনা/সমস্যা সমাধান, সমালোচনামূলক চিন্তন ও যুক্তি#glos Evaluation|মূল্যায়ন]]''
|বিশ্লেষণ, বিচার, ওজন নির্ধারণ, নৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ, সমালোচনা এবং নিজস্ব ও বাহ্যিক তথ্যের প্রতি প্রশ্ন উত্থাপন।
|-
|''[[চিন্তন ও নির্দেশনা/সমস্যা সমাধান, সমালোচনামূলক চিন্তন ও যুক্তি#glos Metacognition|মেটাকগনিশন]]''
|"চিন্তার বিষয়ে চিন্তা" করার প্রক্রিয়া। এর মধ্যে নিজের সিদ্ধান্ত, মতামত বা বিশ্বাসগুলি যথাযথ ও প্রমাণসমর্থিত কি না তা মূল্যায়ন অন্তর্ভুক্ত।
|}
=== সমালোচনামূলক চিন্তন একটি পশ্চিমা ধারণা ===
[[চিত্র:EPSA_General_Assembly.jpg|alt=সমালোচনামূলক চিন্তনকে সব গণতান্ত্রিক নাগরিকদের জন্য অপরিহার্য বলে বিবেচনা করা হয়|থাম্ব|সমালোচনামূলক চিন্তনকে সব গণতান্ত্রিক নাগরিকদের জন্য অপরিহার্য বলে বিবেচনা করা হয়]]
আধুনিক শিক্ষায়, সমালোচনামূলক চিন্তনকে এমন একটি বিষয় হিসেবে বিবেচনা করা হয় যা সকলের শেখা উচিত এবং যা মানুষের সার্বজনীন প্রয়োজন, বিশেষ করে উচ্চশিক্ষায় <ref name=":0">Moon, J. (2007). Critical Thinking: An Exploration of Theory and Practice (1st ed.). London ; New York: Routledge.</ref><ref name=":18">Kurfiss, J. G. (1988). Critical Thinking: Theory, Research, Practice, and Possibilities: ASHE-ERIC/Higher Education Research Report, Volume 17, Number 2, 1988 (1st ed.). Washington, D.C: Jossey-Bass.</ref>। তবে, সমালোচনামূলক চিন্তন একটি মানবিক নির্মাণ <ref name=":19">Board on Testing and Assessment, Division of Behavioral and Social Sciences and Education, & National Research Council. (2011). Assessing 21st Century Skills: Summary of a Workshop. National Academies Press.</ref> – এটি কোনো বৈজ্ঞানিক সত্য নয় – এবং এটি [[w:Ancient_Greek_philosophy|প্রাচীন গ্রিক দর্শন]] ও বিশ্বাসের সাথে গভীরভাবে যুক্ত <ref name=":1">Mason, M. (2009). Critical Thinking and Learning. John Wiley & Sons.</ref>।
এই সংযোগ প্রাচীন গ্রিসের যুক্তিবাদী চিন্তার প্রাধান্য এবং গণতান্ত্রিক নীতির প্রতিফলন করে <ref name=":1" />। এল্ডার ও পল<ref name=":5">Elder, L., & Paul, R. (2009). The Art of Asking Essential Questions (5th Edition). Dillon Beach, CA: Foundation for Critical Thinking</ref>, মুন<ref name=":0" />, এবং স্ট্যানলিক এবং স্ট্রসার<ref name=":6">Paul, R., & Elder, L. (2007). The Thinker’s Guide to The Art of Socratic Questioning. Dillon Beach, CA: The Foundation for Critical Thinking.</ref> সহ বিভিন্ন লেখক বিশ্বাস করেন যে সমালোচনামূলক চিন্তনের সূত্রপাত [[w:Socrates|সক্রেটিসের]] সময় থেকেই হয়েছে। মরগান ও স্যাক্সটন (২০০৬) সমালোচনামূলক চিন্তনকে গণতান্ত্রিক নাগরিকদের একটি মৌলিক প্রয়োজনীয়তা হিসেবে দেখেছেন <ref name=":3">Morgan, N., & Saxton, J. (2006). Asking Better Questions (2nd ed.). Markham, ON: Pembroke Publishers.</ref>।
প্রাচীন গ্রিসের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ হলো সক্রেটীয় পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে দুটি বা ততোধিক ব্যক্তির মধ্যে যুক্তিপূর্ণ প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমে আলোচনা হয়। এখানে তারা একে অপরের মতবাদ চ্যালেঞ্জ করে <ref name=":2">Cain, R. B. (2007). The Socratic Method: Plato’s Use of Philosophical Drama. A&C Black.</ref>। এমন আলোচনা বাস্তবতা ও মতামতের দ্বৈততার বিষয় উত্থাপন করে। এখানে একটি ‘সঠিক উত্তর’ খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা করা হয়, তবে এই পদ্ধতির মধ্য দিয়েই মতবাদের বিষয়ভিত্তিকতা ফুটে ওঠে <ref name=":2" />।
এই প্রাচীন গ্রিক সংযোগের কারণে সমালোচনামূলক চিন্তনকে সাধারণত একটি পশ্চিমা ধারণা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ ধারণা আরও জোরালো হয় [[w:Bloom's_taxonomy|ব্লুমের শ্রেণিবিন্যাস]] নামক আরেকটি পশ্চিমা কাঠামোর মাধ্যমে। এটি আধুনিক শিক্ষায় সমালোচনামূলক চিন্তনের মূলে বিবেচিত <ref>Harmon, D. A., & Jones, T. S. (2005). Elementary Education: A Reference Handbook. ABC-CLIO.</ref>।
যেহেতু সমালোচনামূলক চিন্তন একটি মানবিক নির্মাণ, তাই এটি কেমন হওয়া উচিত তা ব্যক্তি থেকে ব্যক্তিভেদে ভিন্ন হতে পারে। মুন (২৯৯৭) তার কর্মশালাগুলো থেকে সমালোচনামূলক চিন্তনের ২১টি সাধারণ সংজ্ঞা তুলে ধরেছেন এবং তারপর নিজের ২-পৃষ্ঠার সংজ্ঞা প্রদান করেছেন <ref name=":0" />। একটি মতামত অনুসারে, সমালোচনামূলক চিন্তন এমন একটি দক্ষতার সমষ্টি যা কাউকে যুক্তিযুক্ত সিদ্ধান্ত নিতে এবং এমন প্রেক্ষাপটে সিদ্ধান্ত দিতে সক্ষম করে যেখানে পূর্ব জ্ঞান বিদ্যমান <ref name=":19" />। আরেকটি মত অনুযায়ী, এটি একটি পদ্ধতিগত যুক্তি ও বিশ্লেষণের ব্যবহার। এটি সবসময় প্রমাণভিত্তিক না হলেও যুক্তিনির্ভর ও বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করে <ref>Stanley, T., & Moore, B. (2013). Critical Thinking and Formative Assessments: Increasing the Rigor in Your Classroom. Routledge.</ref>। শেষ পর্যন্ত মুন এর মতে, সমালোচনামূলক চিন্তনের নির্দিষ্ট কোনো সঠিক বা ভুল সংজ্ঞা নেই <ref name=":0" />।
=== বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলে সমালোচনামূলক চিন্তন ===
গবেষকেরা যুক্তি দেন যে সমালোচনামূলক চিন্তনের ধারণাটি যদিও পশ্চিমা, গণতান্ত্রিক দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্কিত, তবে এর অর্থ এই নয় যে অন্যান্য অ-পশ্চিমা সংস্কৃতিগুলোর মধ্যে সমালোচনামূলক চিন্তন সংক্রান্ত অনুরূপ কোনো গঠন বা চর্চা নেই <ref name=":4">Jung, I., Nishimura, M., & Sasao, T. (2016). Liberal Arts Education and Colleges in East Asia: Possibilities and Challenges in the Global Age. Springer.</ref>। বরং, “যুক্তি প্রদর্শনের বিভিন্ন পন্থা বা রূপ বিদ্যমান” <ref>Mason, M. (2009). Critical Thinking and Learning. John Wiley & Sons. p. 8.</ref>; যেমন, এশীয় অঞ্চলে বিতর্ক করার পদ্ধতিতে একে অপরের বিরোধী মতামতের মধ্যে সংযোগ খোঁজার চেষ্টা করা হয় যাতে এই মতাদর্শগুলো সহাবস্থান করতে পারে <ref name=":4" />। এটি পূর্বাচলিত মুখরক্ষা মূল্যবোধের কারণে ঘটে <ref name=":02" />। এর বিপরীতে, পশ্চিমা পন্থাগুলোকে প্রায়ই প্রতিযোগিতামূলক হিসেবে দেখা হয়: যেখানে অন্যের মতামত আক্রমণ করে নিজের অবস্থান রক্ষা করা হয়। যদিও এই বিভাজনমূলক সাধারণীকরণ বিদ্যমান, পূর্ব ও পশ্চিমা পন্থার মধ্যে বাস্তবিক দৃষ্টিকোণ থেকে অনেক মিল রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, এশীয় কূটনৈতিক বিতর্কপদ্ধতির ক্ষেত্রে যেমন সমঝোতা এবং আলোচনার প্রয়োজন হয়, তেমনি পশ্চিমা পন্থাগুলোর মধ্যেও এসব উপাদান থাকে কারণ ধারণাগুলো অনেক সময় জটিল হয় এবং অনেকগুলো 'সঠিক' উত্তর থাকতে পারে <ref name=":32" />। অনুরূপভাবে, অন্যান্য সংস্কৃতিগুলো কতটা পশ্চিমা সমালোচনামূলক চিন্তনের ধারণা গ্রহণ করে তা সংস্কৃতিগত মূল্যবোধ দ্বারা নির্ধারিত হয়। উদাহরণস্বরূপ, মুসলিম সংস্কৃতিগুলোতে সমালোচনামূলক চিন্তার মূল্য, নিজের মতামত প্রকাশের উপযুক্ততা সম্পর্কিত দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত <ref>Davies, M., & Barnett, R. (2015). The Palgrave Handbook of Critical Thinking in Higher Education. Springer.</ref>।
=== প্রবণতা ও সমালোচনামূলক চিন্তন ===
অনেকে মনে করেন যে কেবলমাত্র সমালোচনামূলক চিন্তনের দক্ষতা থাকাই যথেষ্ট নয়—সমালোচনামূলক চিন্তার জন্য একটি '''[[w:Disposition|প্রবণতা]]''' থাকা প্রয়োজন <ref name=":142" />। এই প্রবণতা বা মানসিক প্রস্তুতি কগনিটিভ স্কিল থেকে ভিন্ন। এটি ব্যাখ্যা করা যায় এমন একটি ক্ষমতা হিসেবে। এখানে কেউ সচেতনভাবে একটি দক্ষতা ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নেয়, কেবল তা প্রয়োগ করার সক্ষমতার বাইরে <ref name=":152" />। সমালোচনামূলক চিন্তার প্রবণতার মধ্যে বুদ্ধিবৃত্তিক কার্যকলাপে প্রকৃত আগ্রহ ও দক্ষতা থাকতে পারে। পারকিন্স প্রমুখ (২০০০) এই ধারণাটি প্রসারিত করে বলেন যে সমালোচনামূলক চিন্তার প্রবণতার তিনটি দিক রয়েছে: বুদ্ধিবৃত্তিক আচরণে অংশগ্রহণের একটি প্রবণতা; সুযোগগুলো সম্পর্কে সচেতনতা যেখানে এই আচরণগুলো চর্চা করা যায়; এবং সমালোচনামূলক চিন্তায় অংশগ্রহণের একটি সামগ্রিক সক্ষমতা <ref name=":142" />। হালপের্ন (১৯৯৮) উল্লেখ করেন যে এই প্রবণতার মধ্যে কঠিন কাজ চালিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা, উদার মনের মানসিকতা এবং পরিকল্পনার অভ্যাস থাকা উচিত <ref name=":142" />। ক্লিফোর্ড প্রমুখ (২০০৪) পরিচালিত একটি কগনিটিভ স্কিল গবেষণায় দেখা গেছে যে সমালোচনামূলক চিন্তার প্রবণতা ভালো সমালোচনামূলক চিন্তাধারার দক্ষতার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত <ref name=":152" />।
নিম্নোক্ত বৈশিষ্ট্যগুলো হলো ব্যক্তির মনোভাব বা ব্যক্তিত্বের গুণাবলি, যেগুলো সমালোচনামূলক চিন্তনের দক্ষতা অর্জনে সহায়ক:
# জিজ্ঞাসু মনোভাব
# পদ্ধতিগত চিন্তা
# বিচারক্ষমতা সম্পন্ন
# সত্যান্বেষী
# বিশ্লেষণধর্মী
# উদারমনা
# যুক্তির উপর আস্থা
[[চিত্র:P_religion_world.svg|alt=ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক বিশ্বাস সমালোচনামূলক চিন্তার প্রবণতাকে প্রভাবিত করে|থাম্ব|ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক বিশ্বাস সমালোচনামূলক চিন্তার প্রবণতাকে প্রভাবিত করে]]
অনেকগুলো বিষয়ই কারও সমালোচনামূলক চিন্তার প্রবণতাকে প্রভাবিত করতে পারে; এর মধ্যে প্রথমটি হলো সংস্কৃতি <ref name=":142" />। সংস্কৃতির অনেক দিকই মানুষের সমালোচনামূলক চিন্তার সক্ষমতাকে প্রভাবিত করতে পারে। যেমন, ধর্ম অনেক সময় এই দক্ষতার বিকাশে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে <ref name=":142" />। অনেক ধর্মই বিশ্বাসের উপর প্রতিষ্ঠিত। এখানে প্রমাণ ছাড়াই অন্ধ বিশ্বাসের প্রয়োজন হয়। সংগঠিত ধর্মের এই বৈশিষ্ট্যটি সমালোচনামূলক চিন্তার মূল ভিত্তির বিরোধিতা করে, কারণ সমালোচনামূলক চিন্তা মূলত যেকোনো দাবির যথার্থতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা মূল্যায়ন করে। এমন পরিবেশে বেড়ে ওঠা একটি শিশুর এই দক্ষতা বিকাশে অন্তরায় হতে পারে। এই ধরনের পরিবেশ ধর্মীয় বিশ্বাস প্রশ্নবিদ্ধ করার প্রবণতা বা ধর্মের গ্রহণযোগ্যতা বিশ্লেষণের মনোভাবকে দমন করতে পারে। আরেকটি সাংস্কৃতিক উপাদান হলো কর্তৃত্ব <ref name=":142" />। একজন শিশু যদি কর্তৃত্ববাদী অভিভাবকত্বে বেড়ে ওঠে, তবে তাদের জীবনের অনেক দিকেই নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে, কিন্তু বিশেষভাবে সমালোচনামূলক চিন্তার ওপর এর প্রভাব বেশি পড়ে, কারণ সেখানে কর্তৃত্বের বিশ্বাসযোগ্যতা প্রশ্ন করা শেখানো হয় না এবং কেউ করলে তাকে শাস্তি দেওয়া হয়। এই একই বিষয় শ্রেণিকক্ষেও প্রযোজ্য <ref name=":142" />। শ্রেণিকক্ষের এমন পরিবেশ। এখানে শিক্ষকেরা মুক্ত আলোচনার পরিবেশ তৈরি করেন না বা শিক্ষার্থীদের শেখানো বিষয়ে প্রশ্ন তুলতে দেন না, তা সমালোচনামূলক চিন্তার বিকাশে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। যেখানে প্রশ্ন করা নিরুৎসাহিত করা হয় বা বাড়িতে অভিভাবকীয় কর্তৃত্ব খুব বেশি, সেসব পরিবেশ শিক্ষার্থীদের চিন্তার স্বাধীনতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। উপরন্তু, এসব শিক্ষার্থী হয়তো আজীবন এমন পরিবেশে অভ্যস্ত হয়ে ওঠে <ref name=":142" />। তবে, এই সাংস্কৃতিক সীমাবদ্ধতাগুলো সত্ত্বেও, ঘর ও শ্রেণিকক্ষে সমালোচনামূলক চিন্তার প্রবণতা গড়ে তোলার উপায় রয়েছে।
শ্রেণিকক্ষের গঠনই এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায়। এর মাধ্যমে এই প্রবণতাগুলোকে উৎসাহিত করা যায়। এমন শ্রেণিকক্ষের কাঠামো তৈরি করা। এখানে শিক্ষার্থীরা কী পড়বে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে পারে, তা সমালোচনামূলক চিন্তা প্রবণতা গঠনে সহায়ক হতে পারে <ref name=":142" />। এ ধরনের কাঠামো শিক্ষার্থীদের শেখার বিষয়ের প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি করে এবং সেই সঙ্গে এমন একটি শ্রেণিকক্ষের পরিবেশ তৈরি করে যেখানে শিক্ষার্থীরা শিক্ষক এবং সহপাঠীদের মতামত ও বিশ্বাস সম্পর্কে প্রশ্ন তুলতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে। শিক্ষার্থীদের দেওয়া তথ্য বিশ্লেষণ ও মূল্যায়নের স্বাধীনতা দেওয়া, এমন একটি শ্রেণিকক্ষের পরিবেশ তৈরি করে যেখানে সমালোচনামূলক চিন্তা প্রবণতা বিকাশ সম্ভব। এই স্বাধীনতা শিক্ষার্থীদের বৃহত্তর শ্রেণিকক্ষ কাঠামোর ভেতরেও স্বতন্ত্র ব্যক্তি হিসেবে গড়ে ওঠার সুযোগ দেয় এবং তাদের নিজের সিদ্ধান্ত নিজেরাই নেওয়ার ক্ষমতা অর্জনের পথ করে দেয়। শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের ক্ষমতা ভাগ করে দেওয়া তাদের উদ্দীপনা ধরে রাখা ও বিশ্লেষণধর্মী মনোভাব গড়ে তোলার ক্ষেত্রে অত্যন্ত কার্যকর হতে পারে <ref name=":142" />। শিক্ষকরা শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের স্বতন্ত্রতা গঠনের জন্য বিভিন্ন কৌশল ব্যবহার করতে পারেন। শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন ভূমিকা পালন করতে দেওয়া যেতে পারে, যেমন পূর্বানুমান করা বা সমস্যা বিশ্লেষণ করা <ref name=":142" />। শিক্ষার্থীদের সামনে উপস্থাপিত সমস্যাগুলোতে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করতে দেওয়া, কেবল পাঠ্যপুস্তক বা শিক্ষকের মতামত শেখানো নয়, বরং নিজের মত গঠনের জন্য শিক্ষার্থীদের স্বাধীনতা দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। এর পাশাপাশি, বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করা ও বিশ্লেষণ করাও সমালোচনামূলক চিন্তা প্রবণতা গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এতে শিক্ষার্থীরা নিজেরাই তথ্য খুঁজে বের করে, বিশ্লেষণ করে এবং নিজস্ব সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারে <ref name=":142" />। এইভাবে শিক্ষার্থীরা তাদের পূর্বানুমান ও গবেষণার ফলাফল বিশ্লেষণ করে সেই ধারণাগুলোর যথার্থতা মূল্যায়ন করতে পারে <ref name=":142" />।
=== আত্ম-নিয়ন্ত্রণ ও সমালোচনামূলক চিন্তন ===
শিক্ষকদের উচিত, সমালোচনামূলক চিন্তা শেখানোর পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের '''[[w:আত্ম-নিয়ন্ত্রণ|আত্ম-নিয়ন্ত্রণ]]''' বজায় রাখার দিকেও নজর দেওয়া। নতুন কোনো দক্ষতা শেখার সময় শিক্ষার্থীদের তাদের শেখার প্রতি মোটিভেশন বজায় রাখতে এবং আত্মপ্রণোদিত মনোভাব রাখার প্রয়োজন হয়। ফ্যান (২০১০)-এর একটি প্রবন্ধে বলা হয়েছে। এরা আত্ম-নিয়ন্ত্রিত শিক্ষার্থী, তারা লক্ষ্যের প্রতি বেশি মনোযোগী হয়, নিজেদের শেখার জন্য আরও বেশি দায়িত্বশীল হয়, তাদের মোটিভেশন বজায় থাকে, এবং তারা কগনিটিভভাবে আরও নমনীয় হয়। এর ফলে তারা সমালোচনামূলক চিন্তা চর্চায় আগ্রহী হয়। যেহেতু সমালোচনামূলক চিন্তন দক্ষতা অত্যন্ত প্রতিফলনমুখী, তাই তা আত্ম-নিয়ন্ত্রিত শিক্ষায় সহায়তা করে এবং বিপরীতভাবে আত্ম-নিয়ন্ত্রণমূলক কৌশলগুলো সমালোচনামূলক চিন্তন দক্ষতা গঠনে সহায়তা করে <ref name=":132" />।
[[চিন্তন ও নির্দেশনা/সমস্যা সমাধান, সমালোচনামূলক চিন্তন ও যুক্তি#আত্ম-নিয়ন্ত্রণ|আত্ম-নিয়ন্ত্রণ]] শিক্ষার্থীদের সক্রিয়ভাবে শেখার জন্য প্রয়োজনীয় মৌলিক মেটা-কগনিটিভ সচেতনতা দেয়। এই সচেতনতা শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন, প্রতিফলন এবং যুক্তিসিদ্ধ সিদ্ধান্ত নেওয়ার মতো সমালোচনামূলক চিন্তা প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণে সহায়তা করে। নিজের চিন্তাভাবনা মূল্যায়নের মেটা-কগনিটিভ ক্ষমতার মাধ্যমে, একজন শিক্ষার্থী শেখার ক্ষেত্রে আত্মনির্ভরশীল হয়ে উঠতে পারে <ref name=":132" />। প্রতিটি কাজে একজন তত্ত্বাবধায়ক থাকা না লাগলেও শিক্ষার্থী নিজেই নিজের অগ্রগতি মূল্যায়ন করে নিজস্ব গতিতে এগিয়ে যেতে পারে, এটাই SRL-এর মূলনীতি। এই প্রক্রিয়ার অংশ হলো একজন শিক্ষার্থীর নিজস্ব কৌশল নিয়ে নিয়মিতভাবে প্রতিফলন করা। এই প্রতিফলন সমালোচনামূলক চিন্তা-এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীর শেখার পদ্ধতি অনুযায়ী উপযুক্ত কৌশল বেছে নিতে সাহায্য করে।
সমালোচনামূলক চিন্তা-এর জটিল প্রকৃতি ইঙ্গিত করে যে এটি একটি দীর্ঘমেয়াদী বিকাশ প্রক্রিয়া। এখানে দিকনির্দেশনা, চর্চা ও পুনরাবৃত্তি প্রয়োজন। এই প্রক্রিয়াকে সহজ করতে, আত্ম-পর্যবেক্ষণ আত্ম-নিয়ন্ত্রণের প্রাথমিক ধাপ হিসেবে কাজ করে। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা তাদের নিজের শিক্ষা অর্জনের প্রতিফলন শুরু করতে পারে। এই মূল্যায়ন অ্যাকাডেমিক সক্ষমতা সম্পর্কে মোটিভেশনাল বিশ্বাস সৃষ্টি করে আত্ম-দক্ষতা বৃদ্ধি করে <ref name=":132" />। এরপর চর্চার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা তাদের সমালোচনামূলক চিন্তন দক্ষতাকে নিজেদের পরিধি ছাড়িয়ে শিক্ষাগত প্রেক্ষাপটে প্রসারিত করতে পারে। নিয়মিত চর্চার মাধ্যমে, শিক্ষার্থীরা তাদের মেটা-কগনিটিভ কৌশলকে দীর্ঘমেয়াদী সমালোচনামূলক চিন্তন দক্ষতা গঠনের ভিত্তি হিসেবে ব্যবহার করতে পারে।
== সমালোচনামূলক চিন্তনের কৌশলসমূহ ==
[[চিত্র:Studysuccessweb.jpg|থাম্ব|ধারণাচিত্র]]
মনোবিজ্ঞানী ও শিক্ষাবিদেরা সমালোচনামূলক চিন্তার বিকাশের জন্য বহু কৌশল আবিষ্কার করেছেন। এই কৌশলগুলোর মধ্যে কিছু খুব পরিচিত, যেমন [[w:ধারণাচিত্র|ধারণাচিত্র]] বা [[w:Venn_diagram|ভেন চিত্র]], আবার কিছু কম পরিচিত যেমন, "আপিল-কোয়েশ্চন স্টিমুলাস স্ট্র্যাটেজি" <ref name=":17">Cibáková, D. (2015). Methods of developing critical thinking when working with educative texts. E-Pedagogium, (2), 135-145.</ref>। ধারণাচিত্র মানচিত্র ধারণা ও বিষয়বস্তুর পারস্পরিক সম্পর্ক চিত্রিত করতে সহায়ক, এবং ভেন চিত্র সাধারণত পরস্পরবিরোধী ধারণা উপস্থাপনের জন্য ব্যবহৃত হয় <ref name=":17" />।
=== ভেন চিত্র ===
[[চিত্র:Venn-and.svg|alt=ভেন ডায়াগ্রাম|থাম্ব|ভেন চিত্র]]
উচ্চ বিদ্যালয় ৭ম শ্রেণি থেকেই গণিতে সেট অধ্যায়ে ভেন চিত্র প্রায়ই ব্যবহৃত হয়। অন্য পর্যায়েও তুলনামূলক বিশ্লেষণের জন্য এটি ব্যবহৃত হয়। উদাহরণস্বরূপ, বিজ্ঞান ক্লাসে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন গাছ বা প্রাণীর তুলনা ও বিপরীত বৈশিষ্ট্য উপস্থাপনার জন্য ভেন চিত্র তৈরি করতে বলা যেতে পারে। ধারণাচিত্র মানচিত্র প্রাথমিক পর্যায়ে পরিচয় করিয়ে দেওয়া গেলেও তা মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা পর্যায়ে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়। এই ধরনের মানচিত্র শিক্ষার্থীদের পাঠ্যবিষয়ের সঙ্গে যুক্ত থাকতে উৎসাহিত করার একটি সক্রিয় ও বহুমাত্রিক পন্থা।
একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো কনসেপ্ট ম্যাপিং শিক্ষার্থীদের পূর্বে শেখা তথ্য নিয়ে চিন্তা করতে এবং সংযোগ তৈরি করতে উদ্বুদ্ধ করে। প্রাথমিক শ্রেণিগুলোতে, কনসেপ্ট ম্যাপ প্রকল্প হিসেবে উপস্থাপন করা যেতে পারে, আর পরবর্তীতে, যেমন কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে, শিক্ষার্থীরা এটি একটি অধ্যয়ন কৌশল হিসেবে ব্যবহার করতে পারে। প্রাথমিক স্তরে, শিক্ষার্থীরা তাদের পড়া গল্পে চরিত্র, স্থান বা কাহিনির মধ্যে সংযোগ স্থাপনে কনসেপ্ট ম্যাপ ব্যবহার করতে পারে। যখন কনসেপ্ট ম্যাপ পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়, তখন শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের একটি শব্দ বা বাক্যাংশের তালিকা দিতে পারেন এবং শিক্ষার্থীদের নির্দেশ দেন এগুলোর মধ্যে সংযোগ কনসেপ্ট ম্যাপের আকারে চিত্রিত করতে। প্রশ্ন করা একটি সহজ এবং আকর্ষণীয় উপায় হতে পারে সমালোচনামূলক চিন্তার বিকাশের জন্য। শিক্ষকরা উপকরণ নিয়ে শিক্ষার্থীদের প্রশ্ন করে শুরু করতে পারেন এবং তারপর শিক্ষার্থীদের নিজেদের প্রশ্ন তৈরি করতে উৎসাহিত করতে পারেন। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষায়, শিক্ষার্থীরা কোনো উৎসের বিশ্বাসযোগ্যতা যাচাইয়ের জন্য প্রশ্ন ব্যবহার করতে পারে। প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যায়ে, প্রশ্ন ব্যবহার করা যেতে পারে শিক্ষার্থীদের উপকরণ বোঝার ক্ষমতা মূল্যায়নে, এবং একই সঙ্গে তাদের সমালোচনামূলক চিন্তায় উৎসাহিত করতে, যেমন গল্পের চরিত্রদের কার্যকলাপ নিয়ে প্রশ্ন তোলা বা কোনো পরীক্ষার গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে চিন্তা করা। ‘অ্যাপিল-কোয়েশ্চেন স্টিমুলি’। এর প্রবর্তক স্বোবোডোভা, এই পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীরা তাদের পড়া বোঝাপড়া সম্পর্কে প্রশ্ন তোলে <ref name=":172" />।
=== আলোচনা ===
শিক্ষার্থীদের সমালোচনামূলক চিন্তন দক্ষতা বিকাশে আলোচনা একটি বিশেষভাবে কার্যকর কৌশল হতে পারে শিক্ষকদের জন্য। সহপাঠীদের সঙ্গে মিথস্ক্রিয়া কিছু নির্দিষ্ট সমালোচনামূলক চিন্তন দক্ষতা গঠনের ভিত্তি তৈরি করে, যেমন ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ এবং সহযোগিতা। এটি হয়তো সরাসরি শেখানোর মাধ্যমে সহজে শেখানো যায় না। আলোচনার একটি বড় অংশ অবশ্যই ভাষা। ক্লুস্টার (২০০২) বলেছেন, সমালোচনামূলক চিন্তা শুরু হয় প্রশ্ন তোলার মাধ্যমে <ref name=":172" />। অনুরূপভাবে, ভিগোৎসকি উল্লেখ করেছেন যে ভাষাগত দক্ষতা উচ্চস্তরের চিন্তাধারার জন্য অপরিহার্য পূর্বশর্ত হতে পারে <ref name=":162" />। যখন শিশুদের শব্দভাণ্ডার বড় হয়, তখন তারা পাঠ্যবস্তুকে আরও ভালোভাবে বুঝতে পারে এবং তারপরে সে উপকরণ নিয়ে বিমূর্তভাবে চিন্তা করতে পারে এবং সহপাঠীদের সঙ্গে তা নিয়ে চিন্তাশীল আলোচনা করতে পারে <ref name=":162" />।
গবেষণায় দেখা গেছে যে, বিভিন্ন বয়সের সহপাঠীদের মধ্যে আলোচনা সমালোচনামূলক চিন্তার বিকাশে বিশেষভাবে সহায়ক হতে পারে। এই ধরনের গ্রুপগুলো কার্যকর হতে পারে কারণ শিশুদের মধ্যে বিভিন্ন বয়সের সহপাঠীদের সঙ্গে কাজ করার সময় সাধারণত বেশি অনুপ্রেরণা দেখা যায় <ref name=":162" />। ছোটরা বড়দের একজন মেন্টর এবং জ্ঞানের উৎস হিসেবে দেখে, আর বড়রা একটি পরিপক্বতা এবং দায়িত্ববোধ অনুভব করে তাদের জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা ছোটদের সঙ্গে ভাগাভাগি করার <ref name=":162" />। এই ধরনের আলোচনায় শিক্ষার্থীরা এমন ভাষা ব্যবহার করার চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয় যা অন্যদের বোধগম্য হয় <ref name=":162" />। একটি প্রচলিত উদাহরণ হলো কানাডীয় বিদ্যালয়গুলোর “বড় বন্ধু” প্রোগ্রাম। এখানে উচ্চ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নিম্ন শ্রেণির একজন শিক্ষার্থীকে বছরের জন্য সহায়তা করার জন্য নিযুক্ত করা হয়। বড় বন্ধুরা ছোট বন্ধুদের প্রকল্প, পরামর্শ বা স্কুল ইভেন্টে সাহায্য করতে পারে। এই প্রোগ্রামগুলো কার্যকর কারণ ছোটরা তাদের বড় বন্ধুদের অনুসরণ করে এবং বড়রা তাদের ছোটদের সহায়তা করতে একটি দায়িত্ববোধ অনুভব করে। হ্যাটি (২০০৬) বলেছেন, এই আলোচনা অবশ্যই একজন শিক্ষকের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত অত্যন্ত সংগঠিত কার্যক্রম হওয়া উচিত। এটিতে শিক্ষার্থীরা তাদের দায়িত্ব সম্পর্কে স্পষ্ট থাকে <ref name=":162" />।
==== শ্রেণিকক্ষের পরিবেশ ====
একটি শ্রেণিকক্ষ যেখানে শিক্ষার্থীরা প্রশ্ন করতে এবং তাদের ধারণা ভাগ করতে নিরাপদ বোধ করে, তা সমালোচনামূলক চিন্তাকে উৎসাহিত করার জন্য অত্যন্ত মূল্যবান। গবেষণায় দেখা গেছে, যখন শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষের সংগঠন ও কার্যক্রম পরিকল্পনায় অংশগ্রহণ করতে পারে, তখন তারা সমালোচনামূলক চিন্তার প্রতি বেশি ঝোঁক দেখায় <ref name=":143" />। এমন শ্রেণিকক্ষে শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষের কার্যপদ্ধতি নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় সক্রিয়ভাবে অন্তর্ভুক্ত করতে উৎসাহিত করেন <ref name=":143" />। একই সঙ্গে, শিক্ষকদের উচিত কাঙ্ক্ষিত ধরণের সমালোচনামূলক চিন্তন নিজেরাই প্রদর্শন করা, যেমন নিজের সিদ্ধান্ত বা কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত নিয়ে সম্মানজনক ও যথাযথভাবে প্রশ্ন তোলা <ref name=":143" />। গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব শ্রেণিকক্ষে শিক্ষকরা উৎসাহী এবং প্রতিক্রিয়াশীল, সেখানে শিক্ষার্থীদের জ্ঞানগত সম্পৃক্ততা তুলনামূলকভাবে বেশি <ref>Garcia, T., & Pintrich, P. R. (1992). Critical Thinking and Its Relationship to Motivation, Learning Strategies, and Classroom Experience. 2-30.</ref>। তাই, শিক্ষকদের উচিত উৎসাহব্যঞ্জক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক হওয়া এবং সম্ভব হলে শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষ পরিকল্পনায় অংশগ্রহণ করতে দেওয়া।
=== সমালোচনামূলক প্রশ্ন ===
গবেষণা ক্রমেই সমর্থন করছে যে সমালোচনামূলক চিন্তা সরাসরি শেখানো সম্ভব <ref name=":7">Halpern, D. F. (2013). Thought and Knowledge: An Introduction to Critical Thinking. Psychology Press.</ref>। শিক্ষায় সমালোচনামূলক প্রশ্নের ব্যবহার বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এই প্রশ্নগুলো শেখানোর মাধ্যমে শিক্ষকরা সমালোচনামূলক চিন্তার প্রক্রিয়া দৃশ্যমানভাবে মডেল করেন। শিক্ষায় সমালোচনামূলক চিন্তা শেখানোর অন্যতম সমস্যা হলো শিক্ষার্থীরা কেবল শিক্ষকের সিদ্ধান্ত দেখে, অর্থাৎ তারা দেখতে পায় না যে কীভাবে শিক্ষক এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন <ref name=":182" />। একজন অভিজ্ঞ চিন্তাবিদ অবশ্য প্রশ্ন করে, কিন্তু এই প্রশ্নগুলো সাধারণত মুখে উচ্চারণ করা হয় না। কিন্তু শিক্ষার্থীরা যদি সমালোচনামূলক প্রশ্ন ও চিন্তার কৌশল শিখতে চায়, তাহলে তাদের সেই চিন্তার প্রক্রিয়া দেখতে হবে। প্রশ্ন তৈরির ও তার ধারাবাহিকতা দেখিয়ে চিন্তার ধারাটি বোঝানো সম্ভব।
সমালোচনামূলক প্রশ্ন শেখানোর বিভিন্ন পদ্ধতি আছে। নিচে আলোচিত কাঠামোগুলো সবচেয়ে সুপরিচিত। প্রতিটি কাঠামোর নিজস্ব শক্তি ও দুর্বলতা রয়েছে ব্যবহারযোগ্যতা, জটিলতা এবং সার্বজনীনতার দিক থেকে। প্রতিটি পদ্ধতি সমালোচনামূলক চিন্তাকে আলাদা সংজ্ঞায় সংজ্ঞায়িত করে। ফলে একজন ব্যক্তির সমালোচনামূলক চিন্তার সংজ্ঞা তার নির্দিষ্ট কাঠামোর প্রতি গ্রহণযোগ্যতাকে প্রভাবিত করতে পারে।
[[চিত্র:Sócrates.jpeg|alt= Socrates|থাম্ব|Socrates]]
==== সক্রেটীয় পদ্ধতি ====
পশ্চিমা দৃষ্টিভঙ্গিতে সমালোচনামূলক চিন্তার একটি মূল বৈশিষ্ট্য হলো সমালোচনামূলক প্রশ্নের গুরুত্ব। এটি প্রাচীন গ্রিক সক্রেটীয় পদ্ধতির সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হোক বা নতুন প্রশ্ন তৈরি করা হোক—সমালোচনামূলক চিন্তা সব সময় প্রশ্নের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত, তা স্পষ্ট বা অদৃশ্য, সচেতন বা অসচেতন <ref name=":62" />। ব্রাউন ও কিলি (২০০৬) তাদের সমালোচনামূলক চিন্তার সংজ্ঞা সম্পূর্ণরূপে প্রশ্নের অন্তর্ভুক্তির উপর ভিত্তি করে গড়ে তুলেছেন <ref>Browne, M. N., & Keeley, S. M. (2006). Asking the Right Questions: A Guide to Critical Thinking (8th ed.). Upper Saddle River, N.J: Prentice Hall.</ref>।
সমালোচনামূলক প্রশ্নের উত্তর সব সময় পরীক্ষণযোগ্য নয়। এগুলো যুক্তিপূর্ণ হতে পারে, কিন্তু তারপরও বিকল্প মতামতের অধীন, ফলে সব মতই একযোগে ব্যক্তিগত ও বাস্তবিক হতে পারে। এল্ডার ও পল (২০০৯) এই প্রশ্নগুলোকে তিনটি শ্রেণিতে ভাগ করেছেন <ref name=":52" />:
# এমন প্রশ্ন যেগুলোর সঠিক উত্তর আছে এবং তা জ্ঞান দিয়ে নির্ধারণ করা যায়
# এমন প্রশ্ন যেগুলোর উত্তর ব্যক্তিনির্ভর এবং বিচার করা যায় না
# এমন প্রশ্ন যেগুলো যৌক্তিক এবং প্রমাণভিত্তিক যুক্তি দিয়ে বিচার করা যায়
সমালোচনামূলক প্রশ্ন সম্পর্কিত বইগুলো মূলত সক্রেটীয় পদ্ধতিতে প্রভাবিত এবং ‘ভালো’ ও ‘খারাপ’ প্রশ্নের মধ্যে পার্থক্য করে। ভালো প্রশ্ন হলো যেগুলো প্রাসঙ্গিক এবং যুক্তিনিষ্ঠ, আর খারাপ প্রশ্ন হলো অপ্রাসঙ্গিক, অগভীর এবং এলোমেলোভাবে সাজানো <ref name=":33" /><ref name=":62" />। এল্ডার ও পল (২০০৯) বলেন, “একজন ভালো চিন্তাবিদ এবং খারাপ প্রশ্নকারী একই ব্যক্তি হতে পারে না।”<ref>Elder, L., & Paul, R. (2009). The Art of Asking Essential Questions (5th Edition). Dillon Beach, CA: Foundation for Critical Thinking. p. 3.</ref> অর্থাৎ, কেউ যদি প্রাসঙ্গিক ও যৌক্তিক প্রশ্ন তৈরি করতে না পারে, তবে সে যুক্তিসংগত সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারবে না।
উপরন্তু, শুধুমাত্র সঠিক প্রশ্ন করাই যথেষ্ট নয়। সমালোচনামূলক চিন্তার সঙ্গে জ্ঞানের একটি সরাসরি সম্পর্ক আছে <ref name=":7" />। কেউ হয়তো জ্ঞান রাখে, কিন্তু তা প্রয়োগ করতে জানে না। আবার কেউ প্রশ্ন করতে দক্ষ, কিন্তু সেই উত্তরের গুণমান বিচার করার জন্য প্রয়োজনীয় জ্ঞান নেই।
সক্রেটীয় পদ্ধতিতে সমালোচনামূলক প্রশ্ন শেখানোর ক্ষেত্রে বোঝা গুরুত্বপূর্ণ যে, এখানে কোনো নির্দিষ্ট প্রশ্নের সেট নেই, কারণ প্রয়োজনীয় প্রশ্নগুলো নির্ভর করে প্রাসঙ্গিক প্রেক্ষাপটের উপর। তাই বিভিন্ন লেখক যেসব উদাহরণ দেন, তা একে অপরের থেকে যথেষ্ট আলাদা। তবু কিছু সাধারণ নির্দেশনা অনুসরণ করা যায় <ref>Micarelli, A., Stamper, J., & Panourgia, K. (2016). Intelligent Tutoring Systems: 13th International Conference, ITS 2016, Zagreb, Croatia, June 7-10, 2016. Proceedings. Springer.</ref>:
# পরিস্থিতি, বিষয়বস্তু, মতামত এবং সিদ্ধান্ত চিহ্নিত করতে ও বুঝতে প্রশ্ন ব্যবহার করা
# অনুমান, অস্পষ্টতা, দ্বন্দ্ব, বা বিভ্রান্তি খুঁজে বের করতে প্রশ্ন করা
# ধারণাগুলোর প্রভাব মূল্যায়নে প্রশ্ন ব্যবহার করা
সক্রেটীয় পদ্ধতির প্রথম অংশ হলো তথ্য সংগ্রহ। এখানে প্রশ্ন করে গুরুত্বপূর্ণ বিশদ জানা যায়, ধারণা স্পষ্ট হয়, এবং উদ্দেশ্য নির্ধারণ করা যায়। দ্বিতীয় অংশে প্রথম অংশের তথ্য ব্যবহার করে ধারণার যথার্থতা যাচাইয়ের জন্য গভীর বিশ্লেষণ করা হয়। তৃতীয় অংশে প্রশ্নের মাধ্যমে ধারণাগুলোর ফলাফল নিয়ে চিন্তা করা হয়।
কনকলিন (২০১২) এই তিন অংশকে ছয় ভাগে ভাগ করেছেন <ref name=":8">Conklin, W., & Teacher Created Materials. (2012). Strategies for Developing Higher-Order Thinking Skills, Grades 6 - 12. Shell Education.</ref>:
# বোঝার জন্য প্রশ্ন করা
# অনুমান নির্ধারণের জন্য প্রশ্ন করা
# কারণ / প্রমাণ খুঁজে বের করার জন্য প্রশ্ন করা
# দৃষ্টিভঙ্গি নির্ধারণের জন্য প্রশ্ন করা
# ফলাফল নির্ধারণে প্রশ্ন করা
# প্রদত্ত প্রশ্নটির মূল্যায়নে প্রশ্ন করা
প্রতিটি অংশের জন্য কিছু নমুনা প্রশ্ন এখানে দেওয়া হলো:<ref><nowiki>http://www.janinesmusicroom.com/socratic-questioning-part-i-the-framework.html</nowiki></ref>
বোঝার জন্য প্রশ্নসমূহ:
* আপনি তা কেন ভাবছেন?
* আপনি এই বিষয়ে এতদূর কী পড়েছেন?
* এটি আপনি এখন যা পড়ছেন তার সাথে কীভাবে সম্পর্কিত?
ধারণা নির্ধারণকারী প্রশ্নসমূহ:
* আপনি কীভাবে এই ধারণাটি যাচাই করতে পারেন?
* আর কী ধরা যেতে পারে?
* এ বিষয়ে আপনার মত কী? আপনি কি একমত, না কি অসম্মত?
কারণ / প্রমাণ আবিষ্কারের প্রশ্নসমূহ:
* আপনি কীভাবে নিশ্চিত হতে পারেন?
* এটা কেন ঘটছে?
* আপনার মতকে সমর্থন করার জন্য আপনার কাছে কী প্রমাণ আছে?
দৃষ্টিভঙ্গি নির্ধারণকারী প্রশ্নসমূহ:
* আপনি এই যুক্তিটিকে আরেকভাবে কীভাবে দেখতে পারেন?
* কোন দৃষ্টিভঙ্গিটি ভালো?
পরিণতি নির্ধারণকারী প্রশ্নসমূহ:
* এটি আপনার উপর কী প্রভাব ফেলে?
* এর কী প্রভাব রয়েছে?
কোন প্রশ্ন মূল্যায়নের জন্য প্রশ্নসমূহ:
* আমাকে এই প্রশ্নটি কেন জিজ্ঞাসা করা হয়েছে?
* কোন প্রশ্নগুলো সবচেয়ে আকর্ষণীয় উত্তর দিয়েছে?
* আর কী প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা উচিত?
লেখার ওপর নির্ভর করে, সক্রেটিক পদ্ধতি অত্যন্ত জটিল হতে পারে। এটি শিক্ষকদের জন্য এটি প্রয়োগ করাকে চ্যালেঞ্জিং করে তোলে। কনক্লিন (২০১২) বলেন যে একজন শিক্ষককে এই ধরনের প্রশ্ন আগেই পরিকল্পনা করতে হবে, পাঠ চলাকালীন তাৎক্ষণিকভাবে তৈরি করার উপর নির্ভর না করে <ref name=":82" />।
[[চিত্র:Blooms_rose.svg|alt= Bloom's Taxonomy|থাম্ব|Bloom's Taxonomy]]
==== ব্লুম’স ট্যাক্সোনমি ====
ব্লুম’স ট্যাক্সোনমি প্রথম তৈরি হয় ১৯৫৬ সালে, শিক্ষার্থীদের উচ্চস্তরের চিন্তাভাবনা মূল্যায়নের জন্য এবং জ্ঞানমূলক শিক্ষাগত লক্ষ্য নির্ধারণের উদ্দেশ্যে <ref>Bloom, B. S., Krathwohl, D. R., & Masia, B. B. (1984). Taxonomy of educational objectives: the classification of educational goals. Longman.</ref>। পরবর্তীতে এটি রূপান্তরিত হয়ে সমালোচনামূলক চিন্তনের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য একটি কার্যকরী সরঞ্জাম হয়ে ওঠে, বিশেষ করে সমালোচনামূলক প্রশ্নের মাধ্যমে <ref>Blosser, P. E. (1991). How to Ask the Right Questions. NSTA Press.</ref>। এই সমালোচনামূলক প্রশ্নগুলো ব্লুম’স শ্রেণিবিন্যাসের বোঝা, প্রয়োগ, বিশ্লেষণ, সংকলন এবং মূল্যায়ন পর্যায়ের সাথে সম্পর্কিত। এই শ্রেণিগুলো সক্রেটিক পদ্ধতির সাথে মিল খুঁজে পাওয়া যায়, যেমন বোঝা, বিশ্লেষণ এবং মূল্যায়নের জন্য প্রশ্ন করার গুরুত্ব। মুন (২০০৭) মনে করেন যে “মূল্যায়ন”, “প্রতিফলন” এবং “বোঝা” সমালোচনামূলক চিন্তনের মূল উপাদান <ref name=":03" />। এটি সমালোচনামূলক চিন্তার ধারণায় অবশ্যই অন্তর্ভুক্ত হওয়া উচিত। একই সময়ে, ব্লুম’স ট্যাক্সোনমি একটি স্বাভাবিক প্রশ্নমালা তৈরি করে যা বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে মানিয়ে নেওয়া যায় <ref>Wang, J.-F., & Lau, R. (2013). Advances in Web-Based Learning -- ICWL 2013: 12th International Conference, Kenting, Taiwan, October 6-9, 2013, Proceedings. Springer.</ref>।
একটি উদাহরণ হিসেবে, একজন শিক্ষক নিউইয়র্কের একটি স্পিকইজি বারের ছবি ব্যবহার করেন। ব্লুম’স ট্যাক্সোনমি ব্যবহার করে শিক্ষক নিম্নলিখিত সমালোচনামূলক প্রশ্নগুলো করতে পারেন এবং তার মডেল দিতে পারেন <ref name=":34" />:
# জ্ঞান: আপনি ছবিতে কী দেখছেন?
# অনুধাবন: এই ধরনের জায়গায় মানুষ কী করে?
# বিশ্লেষণ: ছবিতে এত পুলিশ কেন আছে?
# প্রয়োগ: বর্তমানে আমরা এ ধরনের কোন পরিস্থিতি দেখতে পাই?
# সংকলন: যদি এমন আচরণ নিষিদ্ধকারী কোনো আইন না থাকতো?
# মূল্যায়ন: আপনি যদি এই লোকগুলোর একজন হতেন, তাহলে কেমন অনুভব করতেন? কেন?
[[চিত্র:Depth_of_Knowledge.png|alt=Norman Webb's Depth of Knowledge|থাম্ব|Norman Webb's Depth of Knowledge]]
==== নরম্যান ওয়েবের জ্ঞানের গভীরতা (ডিওকে) ====
ওয়েবের জ্ঞানের গভীরতা (ডিওকে) ট্যাক্সোনমি তৈরি হয় ২০০২ সালে ব্লুম’স ট্যাক্সোনমির প্রতিক্রিয়া হিসেবে <ref name=":9">Gregory, G., & Kaufeldt, M. (2015). The Motivated Brain: Improving Student Attention, Engagement, and Perseverance. ASCD.</ref>। ব্লুম’স ট্যাক্সোনমির সাথে বিপরীতে, ওয়েবের ডিওকে চিন্তাভাবনাকে মূল্যায়ন করে তার জটিলতার দিক থেকে, কেবলমাত্র কষ্টসাধ্যতার ভিত্তিতে নয় <ref name=":9" />।
ওয়েবের ডিওকের চারটি স্তর:
# স্মরণ ও পুনরুৎপাদন
# দক্ষতা ও ধারণার সাথে কাজ করা
# স্বল্পমেয়াদী কৌশলগত চিন্তাভাবনা
# বিস্তৃত কৌশলগত চিন্তাভাবনা
স্তর ১ ব্লুম’স ট্যাক্সোনমির তথ্য মনে রাখা এবং পুনরায় স্মরণ করার স্তরের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ। এই স্তরের সমালোচনামূলক প্রশ্ন হতে পারে:
* মূল চরিত্রের নাম কী?
* অলিভার টুইস্ট ফ্যাজিনকে কী জিজ্ঞাসা করেছিল?
স্তর ২-এ বিভিন্ন দক্ষতা অন্তর্ভুক্ত যেমন শ্রেণিবিন্যাস, তুলনা, পূর্বাভাস, তথ্য সংগ্রহ ও উপস্থাপন। এসব দক্ষতা থেকে নিচের প্রশ্নগুলো আসতে পারে:
* এই দুটি ধারণার মধ্যে কী মিল-অমিল?
* আপনি কীভাবে এই বস্তুগুলো শ্রেণিবিন্যাস করবেন?
* আপনি কীভাবে এই পাঠের সারাংশ তৈরি করবেন?
স্তর ৩ বিশ্লেষণ ও মূল্যায়নের সাথে সম্পর্কিত। এটি আবার ব্লুম’স ট্যাক্সোনমির সাথে মিলে যায়।
* আপনি কী সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেন?
* এটি ব্যাখ্যা করতে আপনি কী তত্ত্ব দাঁড় করাতে পারেন?
* সবচেয়ে ভালো উত্তর কোনটি? কেন?
একই সময়ে, ডিওকের স্তর ৩ সক্রেটিক পদ্ধতির সাথে মিল খুঁজে পায় কারণ এখানে ব্যক্তিকে নিজের মত পক্ষে যুক্তি ও প্রমাণ দিয়ে কথা বলতে হয়।
স্তর ৪ হলো সবচেয়ে জটিল এবং চ্যালেঞ্জিং। এটি আন্তঃবিষয়ক সংযোগ তৈরি করা এবং নতুন ধারণা / সমাধান তৈরি করার উপর জোর দেয়।
যেহেতু ডিওকে প্রতিটি স্তরে আরও জটিল হয়ে ওঠে এবং যুক্তি ও প্রমাণ ব্যবহার করে নিজ অবস্থান সমর্থনের প্রয়োজন পড়ে, এটি সক্রেটিক পদ্ধতির সাথে সাদৃশ্য তৈরি করে। একই সাথে, যেহেতু এটি সমালোচনামূলক চিন্তা মূল্যায়নের মান নির্ধারণে ব্যবহৃত হয়, এটি ব্লুম’স ট্যাক্সোনমির সাথে সাদৃশ্যযুক্ত।
==== উইলিয়ামস মডেল ====
[[চিত্র:KWL_Chart.jpg|alt= The KWL method shares some similarities to the 'wonder' aspect of the Williams Model|থাম্ব|The KWL method shares some similarities to the 'wonder' aspeসমালোচনামূলক চিন্তা of the Williams Model]]
উইলিয়ামস মডেলটি ফ্র্যাঙ্ক উইলিয়ামস ১৯৭০-এর দশকে তৈরি করেন <ref name=":82" />। অন্যান্য পদ্ধতির বিপরীতে, উইলিয়ামস মডেল তৈরি করা হয়েছিল সৃজনশীল চিন্তাভাবনা উৎসাহিত করার জন্য সমালোচনামূলক প্রশ্ন ব্যবহার করে <ref name=":82" />। এই মডেল নিম্নলিখিত উপাদানগুলো নিয়ে গঠিত:
* সাবলীলতা
* নমনীয়তা
* বিস্তারিততা
* মৌলিকতা
* কৌতূহল
* ঝুঁকি নেওয়া
* জটিলতা
* কল্পনাশক্তি
সাবলীলতা সংক্রান্ত সমালোচনামূলক প্রশ্নগুলো এক ধরনের ব্রেইনস্টর্মিং এর মতো। এখানে প্রশ্নগুলো ধারণা ও বিকল্প উত্পন্ন করার জন্য তৈরি করা হয় <ref name=":82" />। ‘নমনীয়তা’র প্রশ্ন বিদ্যমান ধারণার বিভিন্ন রূপ উত্পন্ন করে। ‘বিস্তার’ প্রশ্ন বিদ্যমান ধারণার উপর নির্মাণ করে এবং বিস্তারিততা বাড়ায়। ‘মৌলিকতা’ প্রশ্ন নতুন ধারণা তৈরির দিকে পরিচালিত করে। কৌতূহল সম্পর্কিত অংশ KWL পদ্ধতির ‘Wonder’ ধাপের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ <ref>Carol, K., & Sandi, Z. (2014). Q Tasks, 2nd Edition: How to empower students to ask questions and care about answers. Pembroke Publishers Limited.</ref>। ‘ঝুঁকি নেওয়া’ প্রশ্ন পরীক্ষামূলক চিন্তা উসকে দেয়। যদিও ‘জটিলতা’ শব্দটি ‘বিস্তার’-এর মতো শোনায়, এটি বিশৃঙ্খলার মধ্যে থেকে ক্রম বের করা, সংযোগ তৈরি করা, এবং তথ্যের ঘাটতি পূরণের বিষয়ে। সর্বশেষ উপাদান হলো ‘কল্পনা’। এটি প্রশ্ন ব্যবহার করে কল্পনাশক্তির মাধ্যমে ভাবতে সহায়তা করে।
[[চিত্র:Wiggins_&_McTighe’s_Six_Facets_of_Understanding_.png|alt=Wiggins & McTighe’s Six Facets of Understanding|থাম্ব|উইগিন্স এবং ম্যাকটাইগের বোঝাপড়ার ছয়টি দিক]]
==== উইগিন্স ও ম্যাকটাই-এর ছয়টি অনুধাবন দিক ====
উইগিন্স ও ম্যাকটাই-এর ‘ছয়টি অনুধাবনের দিক’ সমালোচনামূলক চিন্তার গভীর অনুধাবনের উপর ভিত্তি করে তৈরি <ref name=":10">Doubet, K. J., & Hockett, J. A. (2015). Differentiation in Middle and High School: Strategies to Engage All Learners. ASCD.</ref>। এই পদ্ধতি শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের জন্য প্রশ্ন তৈরি করতে ব্যবহার করেন। এটি সমালোচনামূলক চিন্তনকে উৎসাহ দেয় <ref name=":10" />। এই ছয়টি দিক হলো: ব্যাখ্যা, ব্যাখ্যাত্মকতা, প্রয়োগ, দৃষ্টিভঙ্গি, সহানুভূতি এবং আত্ম-জ্ঞান <ref name=":11"><nowiki>http://www.educ.kent.edu/fundedprojects/tspt/units/sixfacets.htm</nowiki></ref>।
‘ব্যাখ্যা’ দিকটিতে ‘কেন’ এবং ‘কীভাবে’ প্রশ্নগুলো আধিপত্য করে। এটি তত্ত্ব এবং যুক্তি তৈরি করতে সহায়ক <ref name=":12">McTighe, J., & Wiggins, G. (2013). Essential Questions: Opening Doors to Student Understanding (1st ed.). Alexandria, Va. USA: Association for Supervision & Curriculum Development.</ref>:
* এটা কীভাবে ঘটল? আপনি কেন তাই মনে করেন?
* এটি অন্য তত্ত্বের সাথে কীভাবে সংযুক্ত?
ব্যাখ্যাত্মক প্রশ্নগুলো ‘পাঠের ভিতরে’ পড়া, উপমা বা রূপক তৈরি করা এবং ধারণাকে ব্যাখ্যা করার জন্য লিখিত বা চিত্রিত পরিস্থিতি তৈরি করতে সাহায্য করে। উদাহরণস্বরূপ:
* আপনি কীভাবে এই ধারণাটি অন্যভাবে ব্যাখ্যা করবেন?
* আপনি কেন মনে করেন যে উভয় পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব আছে?
* এটি জানা কেন গুরুত্বপূর্ণ?
প্রয়োগ সম্পর্কিত প্রশ্নগুলো জ্ঞান প্রয়োগ করার বিষয়ে। এর একটি অংশ পূর্বানুমান নির্ভর করে পূর্ব অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে এবং আরেকটি অংশ অতীত থেকে শেখার বিষয়।
* আমরা কীভাবে এটি আবার ঘটতে দেওয়া থেকে বিরত থাকতে পারি?
* আপনি কী মনে করেন পরবর্তীতে কী হবে?
* এটি কীভাবে কাজ করে?
দৃষ্টিভঙ্গি প্রশ্নগুলো অন্যের দৃষ্টিভঙ্গি বোঝা এবং তাদের দৃষ্টিভঙ্গির বিশ্লেষণ ও সমালোচনার দিকে মনোনিবেশ করে <ref name=":11" />। উদাহরণস্বরূপ:
* এই বিষয়ে বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি কী কী?
* কবিতায় কে কথা বলছে?
* কার দৃষ্টিভঙ্গি এখানে প্রকাশিত হয়েছে?
* অন্য একজনের দৃষ্টিতে এটি কীভাবে দেখাত?
সহানুভূতিমূলক প্রশ্নগুলো অন্যের অবস্থান অনুধাবনের মাধ্যমে মনের উন্মুক্ততা তৈরি করে, যেন অন্যের জায়গায় নিজেকে কল্পনা করা যায়।
* আপনি যদি একই অবস্থায় থাকতেন, তাহলে কেমন অনুভব করতেন?
* ঐ পরিস্থিতিতে বাস করলে কেমন হতো?
* কেউ যদি আপনার পরিবারের সাথে এটা করত, আপনি কীভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাতেন?
আত্ম-জ্ঞানভিত্তিক প্রশ্নগুলো আত্ম-অনুধাবনের দিকে পরিচালিত করে এবং নিজের পক্ষপাত, মূল্যবোধ এবং পূর্বাগ্রহগুলো চিনতে সাহায্য করে যা অন্যদের বিচার করার সময় প্রভাব ফেলে <ref name=":11" />। উদাহরণস্বরূপ:
* আমার জীবন এই বিষয়ে আমার দৃষ্টিভঙ্গিকে কীভাবে গঠন করেছে?
* আমি আসলে ঐ সম্প্রদায়ের মানুষের জীবনের সম্পর্কে কী জানি?
* আমি কী জ্ঞান বা অভিজ্ঞতার ঘাটতি অনুভব করি?
* আমি যেটা জানি, তা কোথা থেকে এল? সেই তথ্য বা ধারণার উৎস কী?
‘ছয়টি অনুধাবন দিক’-এর মধ্যে থাকা সমস্ত প্রশ্নের বৈশিষ্ট্য নিম্নরূপ <ref name=":12" />:
# সেগুলো উন্মুক্ত
# গভীর চিন্তার প্রয়োজন
# সমালোচনামূলক চিন্তন জরুরি
# জ্ঞান হস্তান্তরকে উৎসাহ দেয়
# এগুলো অনুস্মারক প্রশ্ন তৈরি করে
# এর উত্তর প্রমাণ সহ প্রতিষ্ঠিত হতে হয়
একটি শ্রেণিকক্ষ পরিবেশে সমালোচনামূলক প্রশ্ন প্রয়োগের উদাহরণ দেখতে চাইলে, এই পাতার নিচের বহিঃসংযোগ অংশে দেখুন।
= সমস্যা সমাধান =
প্রতিদিনের জীবনে আমরা নানা সমস্যায় ঘেরা থাকি, যেগুলোর সমাধান আমাদের লক্ষ্য পূরণে গুরুত্বপূর্ণ এবং আমাদের মনোযোগ দাবি করে <ref name=":20">Bruning, G.J. Schraw & M.M. Norby (2011) Cognitive Psychology and Instruction (5th Ed). New York: Pearson.</ref>। আমরা এমন সমস্যার মুখোমুখি হতে পারি যেমন: কর্মস্থলে পৌঁছানোর জন্য সেরা রুট নির্ধারণ করা, ইন্টারভিউয়ের জন্য কী পরা উচিত, একটি যুক্তিভিত্তিক প্রবন্ধে ভালো করা, অথবা একটি দ্বিঘাত সমীকরণের সমাধান খুঁজে বের করা। একটি পরিস্থিতিকে সমস্যা হিসেবে বিবেচনা করা হয় যখন সেই সমস্যার সমাধান চাওয়া হয়, কিন্তু সমাধানটি সমাধানকারী ব্যক্তির কাছে স্পষ্ট নয় <ref>Anderson, J. R. Cognitive Psychology and Its Implications. New York: Freeman, 1980</ref>। '''<u>সমস্যা সমাধান</u>''' হচ্ছে এই সমস্যাগুলোর সমাধান খুঁজে বের করার প্রক্রিয়া <ref name=":21">Mayer, R. E., & Wittrock, R. C. (2006). Problem solving. In P. A. Alexander & P. H. Winne (Eds.), Handbook of educational psychology (2nd ed., pp. 287–304). Mahwah, NJ: Erlbaum.</ref>। '''''যদিও এরা সম্পর্কিত, সমালোচনামূলক চিন্তন মূলত সমস্যা সমাধানের চেয়ে আলাদা। সমালোচনামূলক চিন্তা একটি প্রক্রিয়া যা সমস্যা সমাধানে প্রয়োগ করা যেতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, শিক্ষার্থীরা এমন অনির্দিষ্ট সমস্যার মুখোমুখি হলে সমালোচনামূলক চিন্তায় জড়িয়ে পড়তে পারে যেখানে অনেক বিকল্প বা সম্ভাব্য উত্তর বিবেচনা করতে হয়। মূলত। এরা সমালোচনামূলকভাবে চিন্তা করতে সক্ষম, তারা কার্যকরভাবে সমস্যা সমাধান করতে সক্ষম <ref>Snyder, M. J., & Snyder, L. G. (2008). Teaching critical thinking and Problem solving skills. Delta Pi Epsilon Journal, L(2), 90-99.</ref>।'''''
[[চিত্র:T_vs_PBL.png|থাম্ব|সমস্যাভিত্তিক শেখা ঐতিহ্যবাহী ধারার চেয়ে আলাদা, কারণ এটি শিক্ষার্থীদের একটি প্রশ্নের সমাধানের দিকে মনোনিবেশ করতে সহায়তা করে।]]
এই অধ্যায়ে প্রথমে ''[[চিন্তন ও নির্দেশনা/সমস্যা সমাধান, সমালোচনামূলক চিন্তন ও যুক্তি#glos Well-defined Problems|সুস্পষ্ট সমস্যা]]'' এবং ''[[চিন্তন ও নির্দেশনা/সমস্যা সমাধান, সমালোচনামূলক চিন্তন ও যুক্তি#glos Ill-defined Problems|অনির্দিষ্ট সমস্যা]]'' এর মধ্যে পার্থক্য করা হবে, এরপর সমস্যাগুলোর ধারণা তৈরি ও চিত্রায়নের ব্যবহার আলোচনা করা হবে এবং শেষে মানসিক স্থবিরতা কীভাবে সফল সমস্যা সমাধানে বাধা হতে পারে তা ব্যাখ্যা করা হবে।
=== সুস্পষ্ট ও অনির্দিষ্ট সমস্যা ===
সমস্যাগুলোকে সাধারণত দুটি ধরনের মধ্যে ভাগ করা যায়: অনির্দিষ্ট অথবা সুস্পষ্ট <ref name=":20" />। একটি সুস্পষ্ট সমস্যার উদাহরণ হতে পারে একটি বীজগাণিতিক সমস্যা (যেমন: ২x - ২৯ = ৭)। এখানে x-এর মান বের করতে হবে। আরেকটি উদাহরণ হতে পারে একটি টার্কির ওজন কিলোগ্রাম থেকে পাউন্ডে রূপান্তর করা। উভয় ক্ষেত্রেই এটি সুস্পষ্ট সমস্যা হিসেবে বিবেচিত হয় কারণ এখানে একটি নির্দিষ্ট সমাধান রয়েছে এবং সেই সমাধান খুঁজে পাওয়ার একটি স্পষ্ট পদ্ধতি রয়েছে।
এর বিপরীতে, অনির্দিষ্ট সমস্যা হলো এমন সব সমস্যা যেগুলো আমরা দৈনন্দিন জীবনে মোকাবিলা করি। এখানে লক্ষ্য অস্পষ্ট এবং তথ্যগুলো সাংঘর্ষিক, অসম্পূর্ণ বা অনির্ণীত থাকে <ref name=":22">Voss, J. F. (1988). Problem solving and reasoning in ill-structured domains. In C. Antaki (Ed.), Analyzing everyday explanation: A casebook of methods (pp. 74-93). London: SAGE Publications.</ref>। অনির্দিষ্ট সমস্যার একটি উদাহরণ হতে পারে “জলবায়ু পরিবর্তনের সমাধান কীভাবে করা যায়?” অথবা “দারিদ্র্য নিরসনের উপায় কী হওয়া উচিত?” কারণ এই প্রশ্নগুলোর একক কোনো সঠিক উত্তর নেই। এই সমস্যাগুলোর বিভিন্ন সমাধানের সম্ভাবনা রয়েছে, কারণ এই সমস্যাগুলোর জন্য কোনো সর্বজনগ্রাহ্য কৌশল নেই। মানুষ এসব সমস্যার সমাধান ভিন্নভাবে করে থাকে, তাদের ধারণা, তত্ত্ব প্রয়োগ বা মূল্যবোধ অনুসারে<ref name=":31">Pretz, J. E., Naples, A. J., & Sternberg, R. J. (2003). Recognizing, defining, and representing problems. In J. E. Davidson and R. J. Sternberg (Eds.), The psychology of problem solving (pp. 3–30). Cambridge, UK: Cam- bridge University Press.</ref>। তদুপরি, প্রতিটি সমাধানের নিজস্ব শক্তি ও দুর্বলতা রয়েছে <ref name=":31" />।
{| border="1"
|+'''অনির্দিষ্ট বনাম সুস্পষ্ট সমস্যা'''
!অনির্দিষ্ট
!সুস্পষ্ট
|-
|বর্তমান অবস্থা স্পষ্ট নয়, লক্ষ্য অস্পষ্ট, অনুমোদিত পদ্ধতির সীমা অনির্দিষ্ট এবং একাধিক সমাধান থাকতে পারে <ref name=":22" />।
|বর্তমান অবস্থা স্পষ্ট, লক্ষ্য স্পষ্টভাবে নির্ধারিত, অনুমোদিত পদ্ধতি নির্দিষ্ট এবং একটি নির্দিষ্ট সমাধান রয়েছে <ref name=":22" />।
|-
|উদাহরণ: আমরা কীভাবে বৈশ্বিক উষ্ণায়নের সমাধান করব?
|উদাহরণ: ৫x = ১০
|-
|''[[চিন্তন ও নির্দেশনা/সমস্যা সমাধান, সমালোচনামূলক চিন্তন ও যুক্তি#glos Argumentation|যুক্তিতর্ক]]'', মনোভাব ও "মেটাকগনিশন" উচ্চ সমস্যা সমাধান স্কোরের পূর্বাভাস দেয় <ref name=":322">Shin, N., Jonassen, D. H., & McGee, S. (2003). Predictors of Well-Structured and Ill-Structured Problem Solving in an Astronomy Simulation. Journal Of Research In Science Teaching, 40(1), 6-33.8</ref>
|বিষয়ভিত্তিক জ্ঞান ও যৌক্তিকতা দক্ষতা সমস্যা সমাধানের স্কোরে প্রভাব ফেলে <ref name=":322" />।
|}
সারণি ১: সুস্পষ্ট এবং অনির্দিষ্ট সমস্যার পার্থক্য সংক্ষেপে উপস্থাপন করে।
==== অনির্দিষ্ট এবং সুস্পষ্ট সমস্যার সমাধানে পার্থক্য ====
প্রাথমিক পর্যায়ে, গবেষকরা মনে করতেন যে উভয় ধরনের সমস্যা একইভাবে সমাধান করা যায় <ref>Simon, D. P. (1978). Information processing theory of human problem solving. In W. K. Estes (Ed.), Handbook of learning and cognitive process. Hillsdale, NJ: Lawrence Erlbau</ref>, তবে আধুনিক গবেষণাগুলো এই সমাধান প্রক্রিয়ায় কিছু উল্লেখযোগ্য পার্থক্য তুলে ধরেছে।
কিচেনার (১৯৮৩) প্রস্তাব করেন যে সুস্পষ্ট সমস্যাগুলোতে '''[[চিন্তন ও নির্দেশনা/সমস্যা সমাধান, সমালোচনামূলক চিন্তন ও যুক্তি#glos Epistemological Beliefs|জ্ঞানতাত্ত্বিক বিশ্বাস]]''' সংক্রান্ত কোনো অনুমান থাকে না <ref name=":20" />, কারণ এদের একটি স্পষ্ট এবং নির্দিষ্ট সমাধান থাকে। এখানে অনির্দিষ্ট সমস্যাগুলোর জন্য এই ধরনের বিশ্বাস প্রয়োজন হয় কারণ তাদের একটি স্পষ্ট এবং নির্দিষ্ট সমাধান নেই <ref>Kitchener, K.S., Cognition, metacognition, and epistemic cognition. Human Development, 1983. 26: p. 222-232.</ref>। এই ধারণার সমর্থনে, শ্র, ডাঙ্কল এবং বেন্ডিক্সেন ২০০ অংশগ্রহণকারীর উপর একটি গবেষণা করেন। এখানে তারা দেখতে পান সুস্পষ্ট সমস্যায় পারফর্ম করার দক্ষতা অনির্দিষ্ট সমস্যায় দক্ষতা প্রদর্শনের পূর্বাভাস নয়, কারণ অনির্দিষ্ট সমস্যা জ্ঞানের বিষয়ে ভিন্ন বিশ্বাস সক্রিয় করে <ref>Schraw G., Dunkle, M. E., & Bendixen L. D. (1995). Cognitive processes in well-structured and ill-structured problem solving. Applied Cognitive Psychology, 9, 523–538.</ref>।
শিন, জোনাসেন এবং ম্যাকগি (২০০৩) <ref name=":322" /> আরও দেখেছেন যে অনির্দিষ্ট সমস্যা সমাধানে এমন কিছু দক্ষতা কাজে লাগে যা সুস্পষ্ট সমস্যার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয় না। সুস্পষ্ট সমস্যায় বিষয়ভিত্তিক জ্ঞান এবং যৌক্তিকতা সমস্যা সমাধান স্কোরকে প্রভাবিত করে। এখানে অনির্দিষ্ট সমস্যায় যুক্তিতর্ক, মনোভাব এবং '''<u>মেটাকগনিশন</u>''' বেশি প্রভাব ফেলে।
এই অনুসন্ধানের সাথে সঙ্গতি রেখে, চো এবং জোনাসেন (২০০২) <ref>Cho, K. L., & Jonassen, D. H. (2002) The effects of argumentation scaffolds on argumentation and problem solving. Educational Technology: Research & Development, 50(3), 5-22.</ref> দেখিয়েছেন যে অনির্দিষ্ট সমস্যা সমাধানের জন্য দলগুলো আরও বেশি যুক্তিতর্ক ও সমস্যা সমাধানের কৌশল তৈরি করে কারণ তাদেরকে বিভিন্ন সমাধান ও দৃষ্টিভঙ্গি বিবেচনায় নিতে হয়। বিপরীতে, একই যুক্তিতর্ক পদ্ধতি সুস্পষ্ট সমস্যার ক্ষেত্রে অংশগ্রহণকারীদের কার্যক্রমে বিঘ্ন ঘটায়। এই গবেষণা দুটি ধরনের সমস্যার সমাধান প্রক্রিয়ায় মৌলিক পার্থক্য নির্দেশ করে।
===== শ্রেণিকক্ষ পরিবেশের প্রভাব =====
সুস্পষ্ট এবং অনির্দিষ্ট সমস্যার মৌলিক পার্থক্য নির্দেশ করে যে অনির্দিষ্ট সমস্যা সমাধানের জন্য ভিন্ন ধরনের দক্ষতা, কৌশল ও পন্থা দরকার <ref name=":322" />। অথচ অধিকাংশ শিক্ষাগত কার্যক্রম সুস্পষ্ট সমস্যার সমাধানে শিক্ষার্থীদের যুক্ত করে, যেমন পাঠ্যপুস্তকের শেষে থাকা সমস্যা বা মানসম্পন্ন পরীক্ষাগুলোর প্রশ্ন <ref name=":23">Jonassen, D. H. (2000). Revisiting activity theory as a framework for designing student-centered learning environments. In D. H. Jonassen, S. M. Land, D. H. Jonassen, S. M. Land (Eds.) , Theoretical foundations of learning environments (pp. 89-121). Mahwah, NJ, US: Lawrence Erlbaum Associates Publishers.</ref>। দুর্ভাগ্যজনকভাবে, সুস্পষ্ট সমস্যার জন্য ব্যবহৃত কৌশল বাস্তব জীবনের অনির্দিষ্ট সমস্যার ক্ষেত্রে তেমন কার্যকর নয় <ref>Spiro, R. J., Feltovich, P. J., Jacobson, M. J., & Coulson, R. L. (1992). Cognitive flexibility, constructivism, and hypertext: Random access instruction for advanced knowledge acquisition in ill-structured domains. In T. M. Duffy, D. H. Jonassen, T. M. Duffy, D. H. Jonassen (Eds.) , Constructivism and the technology of instruction: A conversation (pp. 57-75). Hillsdale, NJ, England: Lawrence Erlbaum Associates, Inc.</ref>। কারণ সুস্পষ্ট সমস্যার জন্য ব্যবহৃত সরলীকৃত কৌশলগুলোর বাস্তব জীবনের সমস্যার সাথে প্রায় কোনো মিল নেই <ref name=":23" />
এটি নির্দেশ করে যে শ্রেণিকক্ষ এমনভাবে পুনর্গঠন করা উচিত যা শিক্ষার্থীদের অনির্দিষ্ট সমস্যার সমাধানে সহায়তা করে। এর একটি উপায় হতে পারে শিক্ষার্থীদের এমন প্রশ্ন জিজ্ঞেস করা যা বাস্তব জীবনের সমস্যার প্রতিফলন করে <ref name=":24">Barrows, H. S. (1996). “Problem-based learning in medicine and beyond: A brief overview.” In L. Wilkerson & W. H. Gijselaers (Eds.), Bringing ''[[চিন্তন ও নির্দেশনা/সমস্যা সমাধান, সমালোচনামূলক চিন্তন ও যুক্তি#glos Problem-Based Learning|Problem-Based Learning]]'' to higher education: Theory and practice (pp. 3-12). San Francisco: Jossey Bass.</ref>। এই পদ্ধতিকে বলা হয় '''<u>সমস্যাভিত্তিক শিক্ষা</u>''' এবং এই শ্রেণিকক্ষ কাঠামোতে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন উৎস থেকে প্রমাণ, তথ্য ও উপাত্ত সংগ্রহ করে প্রশ্নের সমাধান খুঁজে বের করার সুযোগ পায় <ref name=":25">(Barron, B., & Darling-Hammond, L. (2008). Teaching for meaningful learning: A review of research on inquiry-based and cooperative learning. Powerful Learning: What We Know About Teaching for Understanding (pp. 11-70). San Francisco, CA: Jossey-Bass.)</ref>। এতে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি ও ব্যাখ্যা বিবেচনা করে তথ্য বিশ্লেষণ এবং উপস্থাপন শেখে <ref name=":25" />।
====== শ্রেণিকক্ষের কাঠামো ======
সমস্যাভিত্তিক শিক্ষায়, শিক্ষার্থীরা ছোট ছোট দলে কাজ করে যেখানে তারা তাৎপর্যপূর্ণ সমস্যার অনুসন্ধান করে, সমস্যার সমাধানে প্রয়োজনীয় তথ্য চিহ্নিত করে এবং কার্যকর সমাধানের পদ্ধতি নির্ধারণ করে <ref name=":24" />। শিক্ষার্থীরা এই কৌশলগুলো প্রয়োগ করে, তাদের ফলাফল বিশ্লেষণ করে এবং নতুন কৌশল উদ্ভাবন করে যতক্ষণ না তারা কার্যকর সমাধানে পৌঁছায় <ref name=":24" />। এই শ্রেণিকক্ষ কাঠামোতে শিক্ষক শিক্ষণ প্রক্রিয়াকে পরিচালনা করেন, অংশগ্রহণে উৎসাহ দেন এবং শিক্ষার্থীদের বিশ্লেষণ ও সমালোচনামূলক চিন্তা বাড়াতে প্রশ্ন করেন <ref name=":24" />। এছাড়াও শিক্ষকরা প্রথাগত লেকচার এবং ব্যাখ্যা প্রদান করতে পারেন যা শিক্ষার্থীদের অনুসন্ধান ভিত্তিক শিক্ষায় সহায়তা করে <ref name=":24" />।
সমস্যাভিত্তিক শিক্ষার কার্যকারিতা সমর্থনে ডচি, সেজার্স, ভ্যান ডেন বোশে এবং গিজবেলস (২০০৩) পরিচালিত একটি মেটা-বিশ্লেষণ দেখিয়েছে যে সমস্যাভিত্তিক শিক্ষা ঐতিহ্যবাহী শিক্ষার চেয়ে বেশি কার্যকর, বিশেষত নমনীয় সমস্যা সমাধান, জ্ঞানের প্রয়োগ এবং অনুমান তৈরির ক্ষেত্রে <ref>Dochy, F., Segers, M., Van den Bossche, P., & Gijbels, D. (2003). Effects of problembased learning: A meta-analysis. Learning and Instruction, 13, 533–568.</ref>।
Furthermore, Williams, Hemstreet, Liu, and Smith (1998) লক্ষ্য করেছিলেন যে এই পদ্ধতি বিজ্ঞানে ধারণাগত বোঝাপড়ায় আরও উন্নতি সাধন করে<ref>Williams, D., Hemstreet, S., Liu, M.& Smith, V. (1998). Examining how middle school students use problem-based learning software. Unpublished paper presented at the ED-Media/ED Telecom ‘98 world Conference on Educational Multimedia and Hypermedia & World Conference on Educational Telecommunications, Freiberg, Germany.</ref>। সর্বশেষে Gallagher, Stepien, & Rosenthal (1992) দেখেছেন যে, প্রচলিত পদ্ধতি বনাম প্রকল্প-ভিত্তিক পদ্ধতির তুলনায়, সমস্যা-ভিত্তিক শিক্ষায় শিক্ষার্থীরা সমস্যাকে সংজ্ঞায়িত করার দক্ষতা প্রদর্শন করে<ref>Gallagher, S. A., Stepien, W. J., & Rosenthal, H. (1992). The effects of problem based learning on problem solving. Gifted Child Quarterly, 36, 195–200. Gertzman, A., & Kolodner, J. L.</ref>। এই গবেষণাগুলি সমস্যা-ভিত্তিক শিক্ষার সুবিধাগুলি তুলে ধরে যা বিজ্ঞানে সমস্যা বোঝা ও সংজ্ঞায়িত করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। সমস্যা সংজ্ঞায়নের ইতিবাচক প্রভাবের পরিপ্রেক্ষিতে, এই শিক্ষাগত পদ্ধতি পরবর্তী উপ-ভাষ্য 'সমস্যার ধারণাকরণ' বিষয়েও প্রযোজ্য হতে পারে।
=== সমস্যা সমাধানের ধাপ ===
সমস্যা সমাধান সংক্রান্ত গবেষণায় সাধারণভাবে পাঁচটি ধাপ চিহ্নিত করা হয়েছে: (১) সমস্যা শনাক্তকরণ, (২) সমস্যা উপস্থাপন, (৩) উপযুক্ত কৌশল নির্বাচন, (৪) কৌশল বাস্তবায়ন, এবং (৫) সমাধান মূল্যায়ন<ref name=":202" />। এই আলোচনা সমস্যার প্রথম দুটি ধাপে গুরুত্ব দেবে এবং বিশ্লেষণ করবে কীভাবে এই ধাপগুলো সমস্যা সমাধানে প্রভাব ফেলে।
[[চিত্র:PBL_Cycle.png|থাম্ব|সমস্যা সমাধানের পাঁচটি ধাপ একটি চক্র তৈরি করে যা শিক্ষার্থীদের সর্বোত্তম সমাধান চিন্তার ধারাকে পরিশোধিত করতে সাহায্য করে।]]
==== সমস্যার ধারণাকরণ ====
সমস্যা সমাধানের সবচেয়ে ক্লান্তিকর এবং কঠিন দিকগুলোর একটি হলো সমস্যাটি শনাক্ত করা, কারণ এটি করতে হলে সমস্যাটিকে বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে বিবেচনা করতে হয় এবং খুব তাড়াতাড়ি কোনো এক নির্দিষ্ট সমাধানে পৌঁছানোর প্রবণতা থেকে বিরত থাকতে হয়<ref name=":212" />। তদুপরি, এটি স্পষ্টভাবে সমস্যা নির্ধারণে সময় ব্যয় করাও গুরুত্বপূর্ণ, কারণ কোনো নির্দিষ্ট সমস্যা 'ধারণা করতে' ব্যয় করা সময় এবং সমাধানের মানের মধ্যে একটি সম্পর্ক রয়েছে<ref name=":202" />।
উদাহরণস্বরূপ, নিম্নোক্ত সমস্যাটি বিবেচনা করুন:
''বেকা তার ওভেনে পঁচিশ মিনিটে একটি চকলেট কেক বানিয়েছে। তাকে তিনটি চকলেট কেক বানাতে কতক্ষণ সময় লাগবে?''
বেশিরভাগ মানুষ ২৫ গুণ ৩ করে সমাধানে পৌঁছাবে, কিন্তু যদি সব কেক একসাথে ওভেনে বসানো হয়, তাহলে দেখা যাবে তিনটি কেক বানাতেও একই সময় লাগবে যত সময় লাগে একটি কেক বানাতে। এই উদাহরণটি সমস্যাটি সঠিকভাবে ধারণা করার প্রয়োজনীয়তাকে তুলে ধরে এবং সমাধানে তাড়াহুড়ো না করে সমস্যাটি বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে দেখার প্রয়োজনীয়তাও নির্দেশ করে।
এটি আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যেতে, সমস্যাটি ধারণা করতে নিচের পাঁচটি ধাপ বিশ্লেষণ করুন:
'''পর্যায় ১ - সমস্যা সংজ্ঞায়িত করা'''
{| class="wikitable"
!লক্ষ্য (আমি চাই...)
!বাধা (কিন্তু...)
|-
|'''একটি নতুন গাড়ি কিনতে চাই।'''
!আমি জানি না কোন মডেলটি সবচেয়ে সাশ্রয়ী।
|-
|'''আরও ব্যায়াম করতে চাই।'''
!আমি জানি না কখন সময় পাব।
|-
|'''ভালো চাকরি পেতে চাই।'''
!আমি জানি না আমাকে কী ধরণের পুনঃপ্রশিক্ষণ নিতে হবে।
|}
'''পর্যায় ২ - সমাধানের জন্য আইডিয়া তৈরি'''
{| class="wikitable"
!সমস্যা
!তথ্য যাচাই
|-
|'''আমার একটি নতুন গাড়ি কেনা দরকার।'''
|'''এতে কত টাকা লাগবে?'''
'''আমি কি সত্যিই গাড়ি প্রয়োজন নাকি গণপরিবহন ব্যবহার করতে পারি?'''
'''নতুন গাড়ি ভালো নাকি পুরনো কেনা ভালো হবে?'''
|}
'''পর্যায় ৩ - একটি সমাধান নির্বাচন করুন'''
{| class="wikitable"
![[চিত্র:Stage_4.png|ফ্রেমহীন]]
|}
'''পর্যায় ৪ - সমাধান বাস্তবায়ন করুন'''
{| class="wikitable"
![[চিত্র:Step_3_-_Problem_Solving.png|ফ্রেমহীন]]
|}
'''পর্যায় ৫ - ফলাফল পর্যালোচনা করুন'''
{| class="wikitable"
!ফলাফল -
নতুন গাড়ি কেনার সিদ্ধান্ত কি সেরা ছিল?
নতুন গাড়ি কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো, টাকা জমিয়ে তা কেনা হলো, এবং একটি সাশ্রয়ী গাড়ি কেনা হলো।
নতুন গাড়ির দাম বেশি ছিল, কিন্তু এটি নির্ভরযোগ্য এবং দীর্ঘসময় পরিবহন হিসেবে কাজ করছে।
সুতরাং, এটি সেরা সমাধান ছিল।
|}
গবেষণাও এই কথাটিকে সমর্থন করে যে, পরবর্তী ধাপে যাওয়ার আগে সমস্যাটি স্পষ্টভাবে সংজ্ঞায়িত করা জরুরি। এই যুক্তির পক্ষে, গেটজেল এবং সিক্সজেন্টমিহালি দেখেছেন যে যারা চিত্রশিল্পী শিক্ষার্থী তাদের মধ্যে যারা তাদের শিল্পকর্ম তৈরির সময় বেশি সময় সমস্যা চিহ্নিতকরণে ব্যয় করে, তাদের কাজকে অন্যদের তুলনায় বেশি সৃজনশীল এবং মৌলিক হিসেবে মূল্যায়ন করা হয়েছে<ref name=":202" />। গবেষকরা ধারণা করেছেন, তারা এই প্রাথমিক ধাপে অধিক বিকল্প বিবেচনায় নিয়ে আরও মৌলিক ও গতিশীল সমাধানে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছেন।
এছাড়াও, অভিজ্ঞ শিক্ষক এবং নতুন প্রশিক্ষণরত শিক্ষার্থীদের মধ্যে তুলনা করলে দেখা যায় যে, অভিজ্ঞ শিক্ষকরা কল্পিত শ্রেণীকক্ষে পাঠ পরিকল্পনায় তুলনামূলকভাবে বেশি সময় ব্যয় করেন<ref name=":202" />। উপরন্তু, তারা উভয় ধরণের সমস্যায় (স্পষ্ট ও অস্পষ্টভাবে সংজ্ঞায়িত) উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি সমাধান প্রস্তাব করতে পেরেছেন। ফলে দেখা যায়, সফল সমস্যা সমাধানের সঙ্গে সঠিক সমস্যা নির্ধারণে সময় ব্যয় এবং বহুবিধ সমাধান বিবেচনার সম্পর্ক রয়েছে।
===== শিক্ষণগত প্রভাব =====
গবেষণালব্ধ তথ্য থেকে একটি শিক্ষণগত ধারণা নেওয়া যায় যে, সমস্যা ধারণায় ব্যয় করা সময় এবং সমাধানের মানের মধ্যে সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে, তাই শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের এই পর্যায়ে যতটা সম্ভব সময় ব্যয় করতে উৎসাহিত করা উচিত<ref name=":202" />। এই জ্ঞান প্রদান করে এবং শিক্ষার্থীদের সমস্যা সমাধানের প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করে নিশ্চিত করা যে তারা সমস্যা ধারণায় “থেমে থাকে”, আমরা কার্যকর সমস্যা সমাধানে সহায়তা করতে পারি<ref name=":202" />।
==== সমস্যার উপস্থাপন ====
''[[চিন্তন ও নির্দেশনা/সমস্যা সমাধান, সমালোচনামূলক চিন্তন ও যুক্তি#glos সমস্যার উপস্থাপন|সমস্যার উপস্থাপন]]'' বলতে কোনো নির্দিষ্ট সমস্যার সম্পর্কিত তথ্য কীভাবে সংগঠিত করা হয় তা বোঝানো হয়<ref name=":202" />। বিমূর্ত উপস্থাপনায় আমরা শুধুমাত্র চিন্তা করি বা কথায় বলি, কোনো দৃশ্যমান উপস্থাপন করি না<ref name=":202" />। সমস্যা উপস্থাপনকে দৃশ্যমান করতে গেলে কাগজ, কম্পিউটার ইত্যাদির মাধ্যমে গল্প, প্রতীক, ছবি, সমীকরণ বা গ্রাফের মাধ্যমে উপস্থাপন করতে হয়। এই দৃশ্যমান উপস্থাপনাগুলি<ref name=":202" /> কার্যকর হতে পারে, কারণ সেগুলি সমাধান এবং ধাপগুলি ট্র্যাক রাখতে সাহায্য করে। এটি জটিল সমস্যায় বিশেষভাবে উপকারী।
[[চিত্র:Bud_Monk_2.png|থাম্ব|ডাঙ্কারের বৌদ্ধ সন্ন্যাসী উদাহরণ।]]
উদাহরণস্বরূপ, যদি আমরা ডাঙ্কারের বৌদ্ধ সন্ন্যাসী উদাহরণটি দেখি<ref name=":202" />:
সকালে একজন বৌদ্ধ সন্ন্যাসী সূর্যোদয়ের সময় পাহাড়ে উঠে মন্দিরে যান। তিনি সূর্যাস্তের ঠিক আগে সেখানে পৌঁছান। কয়েকদিন পর, তিনি সূর্যোদয়ের সময় মন্দির থেকে নামা শুরু করেন এবং উপরের চেয়ে দ্রুত গতিতে নামেন। আপনি কি দেখাতে পারেন এমন একটি স্থান। এখানে তিনি উভয় যাত্রার সময় একই সময়ে পার হয়েছেন?<ref name=":202" />
শুধু বিমূর্ত উপস্থাপন ব্যবহার করলে এই সমস্যাটি সমাধান করা অসম্ভব মনে হয়, কারণ এতে অনেক তথ্য আছে, তা মৌখিকভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে এবং প্রশ্নে অপ্রাসঙ্গিক তথ্যও রয়েছে। দৃশ্যমান উপস্থাপন ব্যবহার করলে আমরা একটি মানসিক চিত্র তৈরি করতে পারি। এখানে দুইটি যাত্রাপথ ছেদ করে এবং সেখানে পৌঁছে একটি কার্যকর সমাধানে আসা সহজ হয়<ref>Bruning, G.J. Schraw & M.M. Norby (2011) Cognitive Psychology and Instruction (5th Ed). New York: Pearson.</ref>।
গবেষণাও দেখায় যে, কঠিন সমস্যার ক্ষেত্রে দৃশ্যমান উপস্থাপন উপকারী। মার্টিন এবং শোয়ার্জ<ref>Martin, L., and D. L. Schwartz. 2009. “Prospective Adaptation in the Use of External Representations.” Cognition and Instruction 27 (4): 370–400. doi:10.1080/</ref> দেখেছেন যে কঠিন কাজে এবং যখন মাঝে মাঝে সম্পদ ব্যবহার করা যায়, তখন বহিঃস্থ উপস্থাপন বেশি ব্যবহার করা হয়। যদিও এই উপস্থাপন তৈরি করতে সময় লাগে। এরা এগুলো তৈরি করেন তারা কার্যকরভাবে এবং নির্ভুলভাবে সমস্যার সমাধান করতে সক্ষম হন।
আরেকটি সুবিধা হলো এই দৃশ্য উপস্থাপন আমাদের জ্ঞাতাগত পক্ষপাত কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করে। চেম্বারস এবং রেইসবার্গ কর্তৃক পরিচালিত একটি গবেষণায়<ref>Chambers, D., and D. Reisberg. 1985. “Can Mental Images Be Ambiguous?” Journal of Experimental Psychology: Human A pragmatic perspective on visual representation and creative thinking Perception and Performance 11 (3): 317–328.</ref> অংশগ্রহণকারীদের একটি ছবি দেখে চোখ বন্ধ করে সেটির মানসিক চিত্র তৈরি করতে বলা হয়। পরে যখন তাদের সেই মানসিক চিত্র থেকে বিকল্প ব্যাখ্যা বের করতে বলা হয়, তখন কেউই তা করতে পারেনি। কিন্তু যখন ছবি দৃশ্যমানভাবে উপস্থাপন করা হয়, তখন তারা দ্রুত ছবি ঘুরিয়ে অন্য ব্যাখ্যায় পৌঁছাতে পেরেছে। এটি দেখায় যে, দৃশ্য উপস্থাপন শিক্ষার্থীদের মানসিক জড়তার বিরুদ্ধে কাজ করতে সাহায্য করতে পারে। এটি পরবর্তী অংশে আলোচনা করা হবে।
===== শিক্ষণগত প্রভাব =====
উপরে দেখা গেছে, বিমূর্ত উপস্থাপনায় নির্ভর করলে আমাদের মস্তিষ্কের সীমিত স্বল্প-মেয়াদি স্মৃতি অতিরিক্তভাবে চাপের মধ্যে পড়ে<ref name=":202" />। অনেক সমস্যা এই সীমা অতিক্রম করে যার ফলে আমরা আমাদের কাজের স্মৃতিতে প্রয়োজনীয় সব তথ্য রাখতে পারি না<ref name=":202" />। ফলে এটি ইঙ্গিত করে যে, শিক্ষকরা সমস্যাগুলো দৃশ্যমান বা লিখিতভাবে উপস্থাপন করলে জ্ঞাতাগত চাপ কমবে। সর্বশেষে, শিক্ষকদের উচিত শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন বহিঃস্থ উপস্থাপন যেমন চার্ট, গ্রাফ, ছবি ইত্যাদির মাধ্যমে তথ্য উপস্থাপনের উপায় দেখানো যাতে করে তারা কার্যকর সমাধান খুঁজে পেতে পারে।
=== সমস্যা সমাধানের চ্যালেঞ্জ ===
উপরে আলোচনা অনুযায়ী, সমস্যা সমাধানকে সহজতর করতে বিভিন্ন কৌশল রয়েছে, কিন্তু এমন কিছু বিষয়ও রয়েছে যা এই প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ: কারও পূর্বের অভিজ্ঞতা অনেক সময় নতুন সমাধান, পন্থা বা ধারণা ভাবতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারে<ref name=":26">Öllinger, M., Jones, G., & Knoblich, G. (2008). Investigating the effect of mental set on insight problem solving. Experimental Psychology, 55(4), 269-282. doi:10.1027/1618-3169.55.4.269</ref>।
==== মনোভাব ====
একটি মনোভাব বলতে বোঝায় কোনো কাজের প্রতি আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি যা অতীত অভিজ্ঞতার দ্বারা প্রভাবিত হয়ে গঠিত হয়।<ref name=":262" /> "Mental set" বলতে বোঝায় অতীতের সফল সমাধানগুলোকেই আমরা বারবার ব্যবহার করতে চাই, পরিবর্তে নতুন কোনো বিকল্প উপায় খুঁজে বের না করা। কিছু কিছু পরিস্থিতিতে এই ধরণের মানসিকতা কার্যকরী হতে পারে, যেমন পূর্বের সফল কৌশল ব্যবহার করে আমরা দ্রুত কোনো সমস্যার সমাধান খুঁজে পেতে পারি। তবে, এটি অনেক সম্ভাব্য এবং অধিক কার্যকর সমাধানকে বাদ দিয়ে দিতে পারে।
[[চিত্র:Candle_task.png|থাম্ব|মোমবাতির কাজ হলো একটি উদাহরণ যা দেখায় কীভাবে বন্ধ মানসিকতা "কার্যকরী স্থিরতা" সৃষ্টি করে।]]
==== কার্যকরী স্থিরতা ====
''[[চিন্তন ও নির্দেশনা/সমস্যা সমাধান, সমালোচনামূলক চিন্তন ও যুক্তি#glos Functional fixedness|কার্যকরী স্থিরতা]]'' হলো এক ধরনের মানসিক গঠন যেখানে আমরা কোনো বস্তুর প্রচলিত কাজেই সীমাবদ্ধ থাকি এবং তার নতুন সম্ভাব্য ব্যবহারগুলো উপেক্ষা করি।<ref name=":203" />
"কার্যকরী স্থিরতা"-এর একটি প্রথাগত উদাহরণ হলো "মোমবাতির সমস্যা"।<ref>Duncker, K. (1945). On Problem Solving. Psychological Monograph, Whole No. 270.</ref> ধরুন আপনি একটি টেবিলের সামনে বসে আছেন। এখানে একটি বাক্স ভর্তি ট্যাক, একটি মোমবাতি এবং কিছু ম্যাচ আছে। আপনাকে বলা হলো যত দ্রুত সম্ভব একটি জ্বলন্ত মোমবাতিকে কর্কবোর্ড দেওয়ালে এমনভাবে বসাতে হবে যাতে মোম টেবিলে গলে না পড়ে। কার্যকরী স্থিরতা-এর কারণে আপনি প্রথমে মনে করতে পারেন ট্যাক ব্যবহার করে মোমবাতিকে দেয়ালে পিন করে দেওয়াটাই সঠিক, কারণ সাধারণত ট্যাক এমন কাজেই ব্যবহৃত হয়—এই অভ্যস্ততাই এক্সপেরিমেন্টের অংশগ্রহণকারীদের প্রভাবিত করেছিল। কিন্তু এটি ভুল সমাধান কারণ এতে মোম টেবিলে গলে পড়বে।
সবচেয়ে কার্যকর সমাধান হলো ট্যাক ভর্তি বাক্সটিকে শুধু একটি ধারক হিসেবে না দেখে একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কল্পনা করা। যদি আমরা বাক্সটি খালি করি, তবে এটি মোমবাতির জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ব্যবহার করতে পারি এবং ট্যাকগুলো দিয়ে বাক্সটিকে দেয়ালে লাগাতে পারি। প্রথমে এই সমাধানটি ভাবা কঠিন, কারণ আমরা বাক্সটিকে সাধারণত ট্যাক রাখার পাত্র হিসেবেই ভাবি এবং এর অন্য কোনো ব্যবহার কল্পনা করতে পারি না (যেমন, এটি একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করতে পারে)। এই পরীক্ষাটি দেখায় কিভাবে পূর্ব জ্ঞান আমাদের চিন্তাকে সীমাবদ্ধ করতে পারে এবং সমস্যা সমাধানে বাধা সৃষ্টি করতে পারে।
===== কার্যকরী স্থিরতা কাটিয়ে ওঠার কৌশল =====
ম্যাকক্যাফ্রে (২০১২) এর প্রস্তাব অনুযায়ী,<ref name=":27">McCaffrey, T. (2012). Innovation relies on the obscure: A key to overcoming the classic problem of functional fixedness. Psychological Science, 23(3), 215-218.</ref> কার্যকরী স্থিরতা কাটিয়ে ওঠার একটি উপায় হলো বস্তুকে খণ্ড খণ্ড অংশে ভাগ করা। এভাবে আমরা দুটি মৌলিক প্রশ্ন করতে পারি: “এটি কি আরও ছোট অংশে ভাঙা যায়?” এবং “আমার বর্ণিত অংশের নাম কি কোনো ব্যবহার নির্দেশ করে?” এই বিষয়টি বোঝাতে ম্যাকক্যাফ্রে একটি "steel ring figure-8" উদাহরণ দিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে একজন ব্যক্তিকে দুটি স্টিল রিং, একটি মোমবাতি এবং একটি ম্যাচ দেওয়া হয়। তাকে বলা হয় এই দুটি রিংকে মিলিয়ে একটি ৮ আকৃতি তৈরি করতে।
ব্যক্তি যখন সরঞ্জামগুলোর দিকে তাকায় তখন সে ভাবতে পারে মোমবাতির মোম গলিয়ে স্টিল রিং দুটি জোড়া লাগানো যেতে পারে। কিন্তু মোম যথেষ্ট শক্ত নয়। তখন প্রশ্ন দেখা দেয়, কীভাবে রিং দুটি জোড়া লাগানো যায়।
এখানে মোমবাতির সলতা একটি টুল হিসেবে রয়ে যায়, কিন্তু যখন আমরা এটিকে আলো দেওয়ার উপায় হিসেবে ভাবি, তখন আমরা বিকল্প ব্যবহার ভাবতে পারি না। কিন্তু যদি আমরা সলতাকে শুধুই একটি মোমে মোড়ানো সুতা হিসেবে দেখি, তাহলে আমরা সঠিক সমাধানে পৌঁছাতে পারি। এই সুতা ব্যবহার করে দুটি রিংকে একসাথে বাঁধা যেতে পারে। ম্যাকক্যাফ্রে (২০১২) দেখিয়েছেন। এরা এই কৌশলে প্রশিক্ষিত ছিল তারা কন্ট্রোল গ্রুপের তুলনায় ৬৭% বেশি সমস্যার সমাধান করতে পেরেছিল।<ref name=":27" />
====== শিক্ষণতাত্ত্বিক প্রভাব ======
এই কৌশলটি কার্যকর প্রমাণিত হওয়ায়, এটি নির্দেশ করে যে ''[[চিন্তন ও নির্দেশনা/সমস্যা সমাধান, সমালোচনামূলক চিন্তন ও যুক্তি#glos Divergent Thinking|Divergent Thinking]]'' বা বহুবিধ চিন্তাভাবনা শেখাতে শিক্ষার্থীদের শেখানো উচিত: “এই বস্তুটি আরও ছোট অংশে ভাগ করা যায় কি না”<ref name=":27" /> এবং “বর্ণিত অংশের নাম কোনো নির্দিষ্ট ব্যবহার নির্দেশ করে কি না”। এতে শিক্ষার্থীরা বস্তুগুলিকে তাদের মৌলিক রূপে বিশ্লেষণ করতে শিখবে এবং সমস্যার অস্পষ্ট বৈশিষ্ট্যগুলোকে স্পষ্ট করে তুলতে পারবে। এটি পূর্বে আলোচিত "ধারণাকরণ"-এর ধারণার সঙ্গে যুক্ত যেখানে সমস্যা সমাধানের দক্ষতা বাড়ানো যায় সমস্যাটি সঠিকভাবে সংজ্ঞায়িত করার ওপর জোর দিয়ে, আমাদের পূর্বধারণার ওপর ভিত্তি করে হঠাৎ সিদ্ধান্ত না নিয়ে। পরবর্তী অংশে আমরা আলোচনা করবো সমস্যা সমাধানে বিশেষজ্ঞরা কী কৌশল ব্যবহার করেন।
== নবীন বনাম বিশেষজ্ঞ সমস্যা সমাধানে ==
অনেক গবেষক মনে করেন কার্যকর সমস্যা সমাধান দুটি গুরুত্বপূর্ণ ভেরিয়েবলের উপর নির্ভর করে: আমরা নির্দিষ্ট ধরণের সমস্যাগুলো সমাধানে কতটা অভিজ্ঞ তা<ref name=":28">Taconis, R., Ferguson-Hessler, M. G. M., & Broekkamp, H. (2002). Teaching science problem solving: An overview of experimental work. Journal of Research in Science Teaching, 38, 442–46</ref>—যা আমরা পূর্বে আলোচনা করেছি যে, সমস্যা-ভিত্তিক পদ্ধতিতে অনুশীলনের মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের দক্ষতা বাড়ানো যায়। তবে দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হলো আমরা নির্দিষ্ট বিষয়ে কতটা জ্ঞান রাখি<ref name=":28" />। বিশেষজ্ঞদের সেই বিষয়ে বিপুল পরিমাণ জ্ঞান থাকে। এটি তাদের প্রাসঙ্গিক সমস্যার সমাধানে দ্রুত ও কার্যকরী সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করে। বিশেষজ্ঞরা নিজেদের জ্ঞানকে সংগঠিতভাবে সাজাতে পারেন। এটি তাদের তথ্য বোঝা, সাজানো ও ব্যাখ্যা করার প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করে এবং এর ফলে তারা নবীনদের তুলনায় ভালোভাবে স্মরণ, বিশ্লেষণ এবং সমাধান করতে সক্ষম হন।<ref>Bransford, J. D., Brown, A. L., & Cocking, R. R. (Eds.). (2000). How people learn: Brain, mind, experience, and school. Washington, DC: National Academies Press.</ref>
বিশেষজ্ঞ ও নবীনদের সমস্যা সমাধানের কৌশলের মধ্যে তুলনা করলে দেখা যায়, বিশেষজ্ঞরা সাধারণত তাদের জ্ঞানকে গভীর কাঠামো বা মৌলিক ধারণার চারপাশে সংগঠিত করেন, যেমন সমস্যাটি সমাধানে কী ধরণের কৌশল প্রয়োজন<ref name=":29">Novick, L. R., & Bassok, M. (2005). Problem solving. In K. Holyoak & R. Morrison (Eds.), The Cambridge handbook of thinking and reasoning (pp. 321–350). Cambridge, UK: Cambridge University Press.</ref>। বিপরীতে, নবীনরা সমস্যাগুলোকে বাহ্যিক কাঠামোর ভিত্তিতে শ্রেণিবদ্ধ করে, যেমন সমস্যায় থাকা বস্তুগুলো।<ref name=":29" />
বিশেষজ্ঞরা সমস্যা বিশ্লেষণ ও শনাক্ত করতে নবীনদের তুলনায় বেশি সময় ব্যয় করেন। তারা সমাধান বাস্তবায়নের আগে চিন্তা ও পরিকল্পনার জন্য বেশি সময় নেন এবং কিছু নির্দিষ্ট কৌশল ব্যবহার করেন যা তাদের আরও কার্যকর সমাধান দিতে সক্ষম করে।<ref>Fuchs, L. S., Fuchs, D., Stuebing, K., Fletcher, J. M., Hamlett, C. L., & Lambert, W. (2008). Problem solving and computational skills: Are they shared or distinct aspects of mathematical cognition? Journal of Educa- tional Psychology, 100, 30–</ref>
এছাড়াও, বিশেষজ্ঞরা নবীনদের তুলনায় সমস্যার গভীর এবং পূর্ণাঙ্গ উপস্থাপনায় নিয়োজিত থাকেন, যেমন বাহ্যিক উপস্থাপন পদ্ধতি—ডায়াগ্রাম বা স্কেচ—ব্যবহার করে তথ্য তুলে ধরা এবং সমস্যার সমাধান করা। এর ফলে তারা দ্রুত এবং আরও ভালো সমাধানে পৌঁছাতে পারেন।<ref name=":30">McNeill, K., & Krajcik, J. (2008). Scientific explanations: Characterizing and evaluating the effects of teachers’ instructional practices on student learning. Journal of Research in Science Teaching, 45, 53–78.</ref>
উপরের আলোচনার ভিত্তিতে বলা যায়, সমস্যা সমাধান ও দক্ষতা একে অপরের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত, কারণ বিশেষজ্ঞরা যেসব কৌশল ব্যবহার করেন সেগুলো কার্যকর সমস্যা সমাধানের কৌশল হিসেবেও চিহ্নিত হয়েছে। তাই বলা যায়, বিশেষজ্ঞদের শুধু বিষয়ভিত্তিক জ্ঞানই বেশি নয়, তারা জানেন এবং প্রয়োগ করেন সবচেয়ে কার্যকর কৌশলগুলো যাতে করে তারা নবীনদের তুলনায় আরও দ্রুত এবং দক্ষতার সঙ্গে সমস্যার সমাধান করতে পারেন।<ref name=":30" /> পরবর্তী অংশে আমরা আলোচনা করবো সমস্যা সমাধান ও সমালোচনামূলক চিন্তার মধ্যকার সম্পর্ক।
== সমস্যা সমাধানে কগনিটিভ টিউটর ==
কগনিটিভ টিউটর বা জ্ঞানীয় শিক্ষক হলো এক ধরনের বুদ্ধিমান শিক্ষণ সহায়ক পদ্ধতি।<ref name=":332">Aleven, V. A. W. M. M., & Koedinger, K. R. (2002) An effective meta-cognitive strategy: learning by doing and explaining with a computer-based Cognitive Tutor. Cognitive Science, 26(2), 147–179.</ref> এটি শিক্ষার্থীদের আলাদা ভিত্তিতে বিভিন্ন ধরণের সমস্যা দিতে পারে, ব্যবহারকারীর সমাধান প্রক্রিয়া ট্র্যাক করতে পারে, প্রয়োজনীয় মুহূর্তে প্রতিক্রিয়া ও ইঙ্গিত দিতে পারে এবং দক্ষতা অর্জনের মানদণ্ড বাস্তবায়ন করতে পারে।<ref name=":342">Anderson, J. R., Corbett, A. T., Koedinger, K. R., & Pelletier, R. (1995). Cognitive Tutors: Lessons learned. Journal of the Learning Sciences, 4(2), 167.</ref>
অ্যান্ডারসন এবং তার সহকর্মীদের মতে,<ref name=":342" /> যারা LISP টিউটরের সাহায্যে কাজ করেছে তারা সমস্যাগুলো ৩০% দ্রুত সমাধান করেছে এবং ৪৩% ভালো ফল করেছে তাদের সহপাঠীদের তুলনায় যারা শুধু শিক্ষকের সহায়তায় মিনি কোর্স করেছিল। একইভাবে। এরা এসিটি প্রোগ্রামিং টিউটর (APT) ব্যবহার করেছে (এটি তাত্ক্ষণিক প্রতিক্রিয়া দেয়) তারা ঐ সমস্যার সেটগুলো দ্রুত শেষ করেছে এবং পরীক্ষায় ২৫% বেশি নম্বর পেয়েছে ঐসব শিক্ষার্থীদের তুলনায় যারা প্রচলিত উপায়ে ক্লাস করেছে।<ref name=":35">Corbett, A. T., & Anderson, J. R. (2001). Locus of feedback control in computer-based tutoring: Impact on learning rate, achievement and attitudes. In Proceedings of the SIGCHI Conference on Human Factors in Computing Systems (pp. 245–252). New York, NY, USA: ACM.</ref> এছাড়াও, উচ্চ বিদ্যালয়ের জ্যামিতি ক্লাসে যারা সমস্যা সমাধানের জন্য জ্যামিতি প্রমাণ টিউটর (GPT) ব্যবহার করেছে তারা পরবর্তীতে নেওয়া পরীক্ষায় ঐসব শিক্ষার্থীদের চেয়ে বেশি নম্বর পেয়েছে যারা প্রচলিত ক্লাসরুম কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেছিল।<ref name=":36">Koedinger, K. R., & Corbett, A. (2006). Cognitive tutors. The Cambridge handbook of the learning sciences, 61-77.</ref>
=== কগনিটিভ টিউটরের একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ ===
১৯৮৫ সালে, অ্যান্ডারসন, বয়েল এবং রেইগসার বুদ্ধিমান টিউটরিং সিস্টেমে কগনিটিভ সাইকোলজির শাখাটি যুক্ত করেন। সেই সময় থেকে, বুদ্ধিমান টিউটরিং সিস্টেম এই পদ্ধতিকে গ্রহণ করে শিক্ষার্থীদের জ্ঞান অর্জনের জন্য কগনিটিভ মডেল নির্মাণ করে। এর নাম দেওয়া হয় কগনিটিভ টিউটর।<ref name=":343" /> সবচেয়ে বহুল ব্যবহৃত কগনিটিভ টিউটর হলো কগনিটিভ_টিউটর® Algebra I।<ref name=":362" /> কার্নেগি লার্নিং, ইনকর্পোরেটেড। এর মালিকানাধীন ট্রেডমার্ক এটি, তারা পূর্ণাঙ্গ কগনিটিভ_টিউটর® বিকাশ করছে। এর মধ্যে রয়েছে বীজগণিত I, II, বীজগণিতের সেতু, জ্যামিতি, এবং সমন্বিত গণিত I, II, III। কগনিটিভ_টিউটর® এখন স্প্যানিশ মডিউলও অন্তর্ভুক্ত করেছে।
কগনিটিভ টিউটর শেখার প্রক্রিয়াকে “কাজ করে শেখা”-এর ধারণাকে সমর্থন করে। এটি মানবিক টিউটরিংয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যভিত্তিক দক্ষতা বা ধারণা প্রয়োগের সুযোগ ও বিষয়বস্তুভিত্তিক প্রতিক্রিয়া প্রদান করে।<ref name=":362" /> শিক্ষার্থীদের পারফরম্যান্স পর্যবেক্ষণের জন্য, কগনিটিভ টিউটর দুটি ''[[চিন্তন ও নির্দেশনা/সমস্যা সমাধান, সমালোচনামূলক চিন্তন ও যুক্তি#glos Algorithms|অ্যালগরিদম]]'' ব্যবহার করে — মডেল ট্রেসিং ও নলেজ ট্রেসিং। মডেল ট্রেসিং তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া প্রদান করে এবং শিক্ষার্থীর প্রতিটি ধাপে নির্দিষ্ট বিষয়বস্তুভিত্তিক পরামর্শ দেয়।<ref name=":343" /> নলেজ ট্রেসিং ব্যবহারকারীর পূর্বজ্ঞান অনুসারে প্রতিটি ব্যবহারকারীর জন্য উপযুক্ত কাজ নির্বাচন করে যাতে তারা মাস্টারি লার্নিং অর্জন করতে পারে।<ref name=":343" /><ref name=":362" />
কগনিটিভ টিউটর বিভিন্ন পাঠ্যক্রম বা বিষয়ে তৈরি এবং প্রয়োগ করা যায় শিক্ষার্থীদের শেখায় সহায়তা করার জন্য, এবং ক্লাসরুম লার্নিং-এ অভিযোজিত সফটওয়্যার হিসেবে সংযুক্ত করা যায়। এই পাঠ্যক্রম ও বিষয়গুলির মধ্যে রয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের গণিত,<ref name=":333" /> <ref name=":352" /> <ref>Koedinger, K. R. (2002). Toward evidence for instructional design principles: Examples from Cognitive Tutor Math 6. In Proceedings of PME-NA XXXIII (The North American Chapter of the International Group for the Psychology of Mathematics Education).</ref> উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জেনেটিকস,<ref>Corbett, A., Kauffman, L., Maclaren, B., Wagner, A., & J,.ones, E. (2010). A Cognitive Tutor for genetics problem solving: Learning gains and student modeling. Journal of Educational Computing Research, 42(2), 219–239.</ref> এবং প্রোগ্রামিং।<ref name=":343" /><ref name=":352" /><ref>Corbett, A. T., & Anderson, J. R. (2008). Knowledge decomposition and sub-goal reification in the ACT programming tutor. Department of Psychology, 81.</ref><ref>Corbett, A. T., & Bhatnagar, A. (1997). Student modelling in the ACT programming tutor: Adjusting a procedural learning model with declarative knowledge. In User modelling (pp. 243-254). Springer Vienna.</ref>
কগনিটিভ টিউটর শ্রেণীকক্ষ, শিক্ষার্থীদের উৎসাহ এবং অর্জনে বিশাল প্রভাব ফেলেছে।<ref>Corbett, A. (2002). Cognitive tutor algebra I: Adaptive student modelling in widespread classroom use. In Technology and assessment: Thinking ahead. proceedings from a workshop (pp. 50-62).</ref> কগনিটিভ টিউটরের কার্যকারিতা সম্পর্কে গবেষণার প্রমাণগুলো ইঙ্গিত করে যে, এটি শ্রেণীকক্ষ শিক্ষার তুলনায় অধিক কার্যকর।<ref name=":343" /><ref>Koedinger, K. R. & Anderson, J. R. (1993). Effective use of intelligent software in high school math classrooms. In Proceedings of the World Conference on Artificial Intelligence in Education, (pp. 241-248). Charlottesv</ref><ref>Koedinger, K., Anderson, J., Hadley, W., & Mark, M. (1997). Intelligent tutoring goes to school in the big city. Human-Computer Interaction Institute.</ref><ref name=":352" />
=== কগনিটিভ টিউটরের তাত্ত্বিক পটভূমি ===
==== [http://en.wikibooks.org/wiki/Cognition_and_Instruction/Long-Term_Memory#The_ACT-R_Theory ACT-R তত্ত্ব] ====
কগনিটিভ টিউটরের তাত্ত্বিক পটভূমি হলো ACT-R তত্ত্ব অফ লার্নিং অ্যান্ড পারফরম্যান্স। এটি প্রক্রিয়াগত জ্ঞান এবং ঘোষণামূলক জ্ঞানের মধ্যে পার্থক্য করে।<ref name=":343" /> ACT-R তত্ত্ব অনুযায়ী, প্রক্রিয়াগত জ্ঞান সরাসরি মানুষের মাথায় ঢোকানো যায় না, এবং এটি if-then ''[[চিন্তন ও নির্দেশনা/সমস্যা সমাধান, সমালোচনামূলক চিন্তন ও যুক্তি#glos গুণন|গুণন]]'' বিধির মাধ্যমে উপস্থাপন করা যায়। প্রক্রিয়াগত জ্ঞান অর্জনের একমাত্র উপায় হলো কাজ করে শেখা।
==== [http://en.wikibooks.org/wiki/Cognition_and_Instruction/Long-Term_Memory#Production_Rule_Models_of_Memory প্রোডাকশন রুলস] ====
প্রোডাকশন রুলস দেখায় কিভাবে শিক্ষার্থীরা, তারা নতুন হোক বা অগ্রসর, একটি নির্দিষ্ট বিষয় বা ক্ষেত্রে চিন্তা করে।<ref name=":343" /> প্রোডাকশন রুলস শিক্ষার্থীদের অনানুষ্ঠানিক বা স্বতঃসিদ্ধ চিন্তাভাবনাকে উপস্থাপন করতে পারে।<ref>Koedinger, K. R., & Corbett, A. (2006). Cognitive tutors. The Cambridge handbook of the learning sciences, 61-77.</ref> এই অনানুষ্ঠানিক বা স্বতঃসিদ্ধ চিন্তাভাবনা সাধারণত পাঠ্যপুস্তকে শেখানো ধারণার চেয়ে ভিন্ন হয়, এবং শিক্ষার্থীরা স্কুলের বাইরেও এমন চিন্তার ধরন অর্জন করতে পারে।<ref>Resnick, L. B. (1987). Learning in school and out. Educational Researcher, 16(9), 13-20.</ref> সমস্যার সমাধানে নির্দিষ্ট অপারেশনের পরিবর্তে একটি পরিকল্পনা প্রদান করা যেমন হিউরিস্টিক পদ্ধতি;<ref>Polya, G. (1957). How to Solve It: A New Aspect of Mathematical Method. (2nd ed.). Princeton, NJ: Princeton University Press.</ref> এবং বিকল্প কৌশল যেমন প্রতীক ছাড়াও গ্রাফিক্স ব্যবহার করে সমীকরণ সমাধান করাও<ref name=":362" /> প্রোডাকশন রুলের মাধ্যমে উপস্থাপন করা যায়।
==== কগনিটিভ মডেল এবং মডেল ট্রেসিং ====
কগনিটিভ মডেল ACT-R তত্ত্ব এবং শিক্ষার্থীদের উপর পরিচালিত গবেষণার উপর ভিত্তি করে গঠিত।<ref name=":362" /> শিক্ষার্থীদের সব সমাধান এবং সাধারণ ভ্রান্ত ধারণাগুলো কগনিটিভ মডেলের প্রোডাকশন সিস্টেমে উপস্থাপিত হয়।
{| border="1" style="background-color:Whitesmoke" cellpadding="10px" cellspacing="8px" align="center"
|একটি বীজগণিতীয় সমীকরণ সমাধানের তিনটি কৌশল
|-
|<blockquote>'''সমীকরণ''': 2(3+X)=10</blockquote><blockquote>'''কৌশল ১''': 2x3+2xX=10</blockquote><blockquote>'''কৌশল ২''': 2(3+X)÷2=10÷2</blockquote><blockquote>'''কৌশল ৩''': 2x3+X=10</blockquote>
|}
উদাহরণস্বরূপ, 2(3+X)=10 এই বীজগণিতীয় সমীকরণ সমাধানের তিনটি কৌশল রয়েছে। কৌশল ১ হলো ২ দ্বারা (3+X) গুণ করা; কৌশল ২ হলো উভয় পাশে ২ দ্বারা ভাগ করা; কৌশল ৩ হলো ২ দ্বারা শুধু ৩ গুণ করে X কে গুণ না করে ভুল ধারণা প্রদর্শন করা। যেহেতু প্রতিটি কাজের একাধিক পদ্ধতি থাকতে পারে, শিক্ষার্থীরা তাদের সুবিধামত সমাধান পদ্ধতি বেছে নিতে পারে।
মডেল ট্রেসিং একটি অ্যালগরিদম যা শিক্ষার্থীদের শেখার প্রতিটি ধাপ অনুসরণ করতে পারে এবং তাত্ক্ষণিক, প্রসঙ্গভিত্তিক প্রতিক্রিয়া প্রদান করে। যদি শিক্ষার্থী সঠিক উত্তর বেছে নেয়, যেমন কৌশল ১ বা কৌশল ২ ব্যবহার করে সমাধান করে, কগনিটিভ_টিউটর® এটি গ্রহণ করে এবং শিক্ষার্থীকে পরবর্তী কাজ দেয়। যদি শিক্ষার্থীর ভুলটি একটি সাধারণ ভ্রান্ত ধারণার সঙ্গে মিলে যায়, যেমন কৌশল ৩, কগনিটিভ_টিউটর® এটিকে ভুল হিসেবে চিহ্নিত করে এবং তাৎক্ষণিকভাবে পরামর্শ দেয়, যেমন: "X-কে ২ দ্বারা গুণ করাও প্রয়োজন।" যদি শিক্ষার্থীর ভুল কোনো প্রোডাকশন রুলের সঙ্গে না মেলে, অর্থাৎ উপরোক্ত কোনো কৌশল ব্যবহার না করে, তাহলে কগনিটিভ_টিউটর® এই ধাপটিকে লাল রঙ ও ইটালিকে একটি ভুল হিসেবে চিহ্নিত করে। সমস্যার সমাধান করার সময় শিক্ষার্থীরা যে কোনো সময়ে সাহায্য বা ইঙ্গিত চাইতে পারে। করবেটের মতে,<ref name=":352" /> তিনটি স্তরের পরামর্শ রয়েছে: প্রথমত, একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য অর্জনের পরামর্শ; দ্বিতীয়ত, সেই লক্ষ্য অর্জনের জন্য সাধারণ ধারণা প্রদান; এবং তৃতীয়ত, বর্তমান প্রসঙ্গে সমস্যার সমাধান সম্পর্কে বিস্তারিত পরামর্শ।
==== নলেজ ট্রেসিং ====
নলেজ ট্রেসিং সমস্যার সমাধান প্রক্রিয়ায় শিক্ষার্থীদের ক্রমবর্ধমান প্রোডাকশন রুলস পর্যবেক্ষণ করতে পারে। প্রতিটি শিক্ষার্থী সমস্যার প্রতিটি ধাপে একটি প্রোডাকশন রুল নির্বাচন করতে পারে, এবং কগনিটিভ টিউটর শিক্ষার্থী ঐ নির্দিষ্ট রুল শিখেছে কিনা, তার সম্ভাব্যতা আপডেট করে হিসাব করতে পারে।<ref name=":352" /><ref name=":362" /> এই সম্ভাব্যতা অনুমানসমূহ সফটওয়্যারের ইন্টারফেসে স্কিল-মিটার-এ দেখানো হয়। এই অনুমান ব্যবহার করে কগনিটিভ টিউটর শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত চাহিদার ভিত্তিতে উপযুক্ত কাজ বা সমস্যা নির্বাচন করতে পারে।
=== কার্যকারিতা ===
==== কগনিটিভ টিউটর® জ্যামিতি ====
অ্যালেভেন এবং কোয়েডিঙ্গার দুটি পরীক্ষা পরিচালনা করেছিলেন যাতে দেখা যায় কগনিটিভ টিউটর® কি উচ্চ বিদ্যালয়ের জ্যামিতি ক্লাসে আত্ম-ব্যাখ্যাকে কার্যকরভাবে সহায়তা করতে পারে কিনা।<ref name=":334" /> গবেষণার ফলাফল ইঙ্গিত দেয় যে “কগনিটিভ টিউটর® ব্যবহারে সমস্যা-সমাধানের অনুশীলন তখনই আরও কার্যকর হয় যখন শিক্ষার্থীরা তাদের পদক্ষেপগুলোর ব্যাখ্যা সমস্যা-সমাধানের নীতিগুলোর মাধ্যমে দেয়।”<ref name=":33 page"><Aleven, V. A. W. M. M., & Koedinger, K. R. (2002). An effective metacognitive strategy: learning by doing and explaining with a computer-based Cognitive Tutor. Cognitive Science, 26(2), 147–179. p. 173</ref>
জ্যামিতি শেখার ক্ষেত্রে এটি তখন ঘটে যখন শিক্ষার্থীদের পূর্বজ্ঞানভিত্তিক উৎপাদন নিয়মগুলো অতিরঞ্জিত হয়। এর ফলে তারা তথ্যকে ভাসাভাসাভাবে গ্রহণ করে এবং শেখে। উদাহরণস্বরূপ, একটি শিক্ষার্থী সঠিক উত্তর বেছে নিয়ে পরবর্তী ধাপে চলে যেতে পারে এমন একটি অতিরঞ্জিত নিয়ম অনুসরণ করে—''যদি একটি কোণ অন্য একটি কোণের মতো দেখায়, তবে সেটি সমান''—প্রকৃত বোঝাপড়া ছাড়াই। অ্যালেভেন এবং কোয়েডিঙ্গার অনুযায়ী, আত্ম-ব্যাখ্যার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা আরও সাধারণ রূপে নিয়মগুলোর ব্যাখ্যা করতে শেখে এবং এটি তাদের আরও গভীরভাবে চিন্তা করতে এবং জ্যামিতি বিষয়ক নিয়মগুলোর ওপর স্পষ্টভাবে প্রতিফলন করতে উৎসাহিত করে।<ref name=":334" />
গবেষণার অন্তর্ভুক্ত সকল জ্যামিতির ক্লাসে ছিল শ্রেণিকক্ষ আলোচনা, ক্ষুদ্র-দলীয় কার্যক্রম, বক্তৃতা এবং কগনিটিভ টিউটর® ব্যবহারে সমস্যা সমাধান। উভয় পরীক্ষায়, শিক্ষার্থীদের কগনিটিভ টিউটর® এর সাহায্যে সমস্যা সমাধান করতে হয়েছে। তবে কগনিটিভ টিউটর®-এর দুটি আলাদা সংস্করণ ব্যবহার করা হয়েছে—নতুন সংস্করণটি আত্ম-ব্যাখ্যাকে সহায়তা করতে পারে, যেটি "কাজ এবং ব্যাখ্যার মাধ্যমে শিক্ষণ পরিচালিত করা" নামেও পরিচিত,<ref name=":334" /> আর অন্যটি পারে না। নতুন সংস্করণে এমন অতিরিক্ত বৈশিষ্ট্য ছিল যা শিক্ষার্থীদের প্রতিটি ধাপকে যুক্তিযুক্ত করতে জ্যামিতির নীতিমালা প্রবেশ করানো অথবা অনলাইন গ্লসারির সঙ্গে সেগুলোর সংযোগ করানো বাধ্যতামূলক করেছিল, একইসঙ্গে শিক্ষার্থীরা তাদের পছন্দ অনুযায়ী ব্যাখ্যা এবং সমাধান দিতে পারত। নতুন সংস্করণের ব্যাখ্যার ধরনটি কথ্য ব্যাখ্যার চেয়ে আলাদা ছিল। এটি আত্ম-ব্যাখ্যাবিষয়ক আরেকটি পরীক্ষায় উল্লেখ করা হয়েছে। গবেষকরা দেখতে পান। এরা নতুন সংস্করণ ব্যবহার করেছে তারা শুধু যে আরও নিখুঁতভাবে ব্যাখ্যা দিতে পেরেছে তা-ই নয়, বরং তারা জ্যামিতি বিষয়ে আরও গভীরভাবে নিয়মগুলো বুঝতে পেরেছে। ফলে, তারা সেই শেখা নিয়মগুলো নতুন পরিস্থিতিতেও প্রয়োগ করতে পেরেছে এবং ভাসাভাসা শেখা এড়াতে সক্ষম হয়েছে।
==== জেনেটিক্স কগনিটিভ টিউটর ====
করবেট ও সহকর্মীরা (২০১০) জেনেটিক্স কগনিটিভ টিউটর-এর দুটি মূল্যায়ন পরিচালনা করেন আমেরিকার ১২টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৭ ধরণের জীববিজ্ঞান কোর্সে। গবেষণায় দেখা গেছে, পোস্ট-সেকেন্ডারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জেনেটিক্স সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে জেনেটিক্স কগনিটিভ টিউটর ব্যবহার কার্যকর ছিল।<ref>Corbett, A., Kauffman, L., Maclaren, B., Wagner, A., & Jones, E. (2010). A Cognitive Tutor for genetics problem solving: Learning gains and student modelling. Journal of Educational Computing Research, 42(2), 219–239.</ref>
প্রথম মূল্যায়নে, অংশগ্রহণকারীরা ক্লাস কার্যক্রম অথবা হোমওয়ার্ক হিসেবে জেনেটিক্স কগনিটিভ টিউটর ব্যবহার করে। সফটওয়্যারটিতে ১৬টি মডিউল রয়েছে এবং এতে প্রায় ১২৫টি সমস্যা পাঁচটি সাধারণ জেনেটিক বিষয়ের উপর ভিত্তি করে। জেনেটিক্স কগনিটিভ টিউটর জেনেটিক্স সমস্যা সমাধানের জন্য ধাপে ধাপে সহায়তা দেয় এবং এতে উভয় মডেল ট্রেসিং এবং নলেজ ট্রেসিং ব্যবহার করা হয়। প্রাক-পरीক্ষণের গড় সঠিকতার হার ছিল ৪৩% এবং পরবর্তী পরীক্ষায় তা বেড়ে হয় ৬১%, অর্থাৎ গড় উন্নতি ছিল ১৮%। দ্বিতীয় মূল্যায়নে গবেষকরা খতিয়ে দেখেন, জ্ঞান ট্রেসিং অ্যালগরিদম শিক্ষার্থীদের জ্ঞানের সঠিক পূর্বাভাস দিতে পারে কিনা। ফলাফল অনুযায়ী, অ্যালগরিদমটি কাগজ-কলমভিত্তিক পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের পারফরম্যান্স যথাযথভাবে পূর্বানুমান করতে সক্ষম।
== প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা এবং নকশা চিন্তন ==
=== বাস্তব জীবনের সমস্যার সমাধানে তাত্ত্বিক চিন্তা ===
''[[চিন্তন ও নির্দেশনা/সমস্যা সমাধান, সমালোচনামূলক চিন্তন ও যুক্তি#glos Project Project Based Learning|প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা]]'' একটি ধারণা যা শিক্ষার্থীকে শিক্ষার কেন্দ্রে স্থাপন করার উদ্দেশ্যে তৈরি। এই শিক্ষায় শিক্ষার্থীকে একটি জটিল চ্যালেঞ্জ বা প্রশ্নের উত্তরে দীর্ঘ সময় ধরে অনুসন্ধানমূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করতে উৎসাহিত করা হয়। প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষার উদ্দেশ্য হল শিক্ষার্থী যেন পাঠ্যক্রম অনুসরণ করার পাশাপাশি তাদের বিদ্যমান জ্ঞান ব্যবহার করে সমস্যার সমাধান খুঁজে বের করতে পারে। মূলত, এটি এমন একটি কার্যকলাপ যেখানে শিক্ষার্থীরা বাস্তব জীবনের সমস্যা বা ইস্যুর উপর ভিত্তি করে একটি বিষয় সম্পর্কে ধারণা তৈরি করে এবং তাদের শিক্ষাক্রমের নকশা করায় এক ধরনের দায়িত্ব পালন করে<ref>Morgan, Alistar. (1983). Theoretical Aspects of Project-Based Learning in Higher Education. British Journal of Educational Technology, 14(1), 66-78.</ref>। ব্লুমেনফেল্ড প্রমুখ (১৯৯১) উল্লেখ করেছেন যে প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা শিক্ষার্থীকে তাদের মূল প্রশ্ন, কার্যকলাপ এবং তৈরি করা শিল্পকর্মের প্রক্রিয়ার প্রতি দায়িত্ববান করে তোলে<ref name=":48">Blumenfeld, Phyllis C., Elliot Soloway, Ronald W. MArx, Joseph S. Krajick, Mark Guzdial, Annemarie Palincsar.. (1991). Motivating Project-Based Learning: Sustaining the Doing, Supporting the Learning. Educational Psychologist, 26(3&4), 369-398.</ref>।
প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা পাঁচটি নির্দিষ্ট মানদণ্ডের উপর ভিত্তি করে তৈরি<ref name=":37">Thomas, John W. (2000). A Review of Research on Project-Based Learning. San Rafael: Autodesk Press.</ref>:
{| border="1"
|+'''প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষার বৈশিষ্ট্য'''
|প্রকল্পগুলো পাঠ্যক্রমের কেন্দ্রবিন্দু বা প্রান্তবর্তী যে কোন অংশে হতে পারে।
|-
|প্রকল্পগুলো এমন প্রশ্ন বা সমস্যার উপর ভিত্তি করে তৈরি যা শিক্ষার্থীদের একটি নির্দিষ্ট বিষয়ের মূল ধারণা ও নীতির মুখোমুখি করে এবং সেখানে সংগ্রাম করতে বাধ্য করে।
|-
|প্রকল্পগুলো শিক্ষার্থীদের গঠনমূলক অনুসন্ধানে সম্পৃক্ত করে।
|-
|প্রকল্পগুলো কিছুটা হলেও শিক্ষার্থী পরিচালিত হয়।
|-
|প্রকল্পগুলো বাস্তবধর্মী হয়, শুধু বিদ্যালয়ভিত্তিক নয়।
|}
[[চিত্র:Problem_Based_Learning_vs_Project_Based_Learning.png|থাম্ব|প্রকৃত এবং কার্যকর সমাধান উপস্থাপনে শিক্ষার্থীদের চ্যালেঞ্জ জানায় প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা।]]
এই ধরনের চ্যালেঞ্জগুলি বাস্তব জীবনের প্রাসঙ্গিক সমস্যা নিয়ে গঠিত। এটি শিক্ষার্থীদের অনুসন্ধান প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সম্পৃক্ত করে এবং সক্রিয় বা অভিজ্ঞতালব্ধ শিক্ষার মাধ্যমে তাদের ধারণা প্রকাশে সক্ষম করে। উদাহরণস্বরূপ, প্রাথমিক বা মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের শিক্ষকের পক্ষ থেকে স্কুলে কম্পোস্ট সমস্যা সমাধানের জন্য বলা হতে পারে। শিক্ষার্থীদের দলবদ্ধভাবে গবেষণা, নির্মাণ এবং তাদের আইডিয়া প্রদর্শনের নির্দিষ্ট মানদণ্ডের মধ্যে থেকে সমাধান বের করতে উৎসাহিত করা হবে। এখানে তারা দীর্ঘ সময় ধরে বিষয়বস্তুর সাথে মানসিকভাবে যুক্ত থাকবে এবং আগ্রহ ধরে রাখবে<ref name=":48" />। ফলাফল হবে একটি জটিল শিক্ষা প্রক্রিয়া যার সফলতা কেবল অংশগুলোর যোগফল নয় বরং সামগ্রিকতায় নিহিত<ref name=":38">van Merriënboer, J. J. G., Clark, R. E., & de Croock, M. B. M. (2002). Blueprints for complex learning: The 4C/ID-model. Educational Technology Research and Development, 50(2), 39–61. doi:10.1007/bf02504993.</ref>। প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষার লক্ষ্য হলো জ্ঞান, সহযোগিতা এবং একটি চূড়ান্ত প্রকল্প উপস্থাপনের দক্ষতা সমন্বয় করা। এই ধরণের স্কিমা নির্মাণ শিক্ষার্থীদের বাস্তব প্রশিক্ষণ ব্যবহার করে কার্যকর ফলাফল তৈরিতে সাহায্য করে। শিক্ষার্থী পূর্ববর্তী জ্ঞান ব্যবহার করে নতুন তথ্যের সাথে সংযুক্ত হয় এবং একটি বিষয় সম্পর্কে তার ধারণাকে সম্প্রসারিত করে<ref name=":38" />। প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষায় এই প্রক্রিয়াটি তথ্য সংগ্রহ, দলগত আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং সমাধান তৈরি করার মাধ্যমে সম্পন্ন হয়।
সমস্যা ভিত্তিক শিক্ষার চেয়ে প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষায় নির্মাণবাদী শিক্ষার দর্শনের ভিত্তিতে অভিজ্ঞতালব্ধ শেখাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়। এখানে শিক্ষার্থীরা একটি নির্দিষ্ট চালিকাশক্তি প্রশ্নের উত্তরে বাস্তব সমাধানের দিকে অগ্রসর হয়ে তাদের জ্ঞানের পরিমাণ প্রকাশ করে। অভিজ্ঞতালব্ধ শিক্ষার এই দার্শনিক ভিত্তি এসেছে জন ডিউই এর “এডুকেশন অ্যান্ড এক্সপেরিয়েন্স” (শিক্ষা ও অভিজ্ঞতা) নামক গ্রন্থ থেকে। ডিউই মনে করতেন যে অভিজ্ঞতা একটি ধারাবাহিক শেখার প্রক্রিয়া। এটি কৌতূহল জাগায়, উদ্যোগ বৃদ্ধি করে এবং শিক্ষার্থীকে আরও জ্ঞানের দিকে এগিয়ে নিয়ে যায়<ref name=":39">Dewey, J. (1938). Experience and education. New York: Macmillan.</ref>। প্রকৃত সমস্যার সমাধানে কাজ করার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সমাধানকে বাস্তব কাঠামোর সঙ্গে যুক্ত করে এই অভিজ্ঞতালব্ধ শিক্ষা। শিক্ষার্থীদের অবশ্যই তাদের জ্ঞানের অভাব পূরণ করতে হয় গবেষণা ও দলগত সহযোগিতার মাধ্যমে। প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষায় অভিজ্ঞতা নির্ভর শেখা একটি চালিকাশক্তি প্রশ্নের উপর কেন্দ্রীভূত থাকে। এটি সাধারণত শিক্ষক কর্তৃক নির্ধারিত। শিক্ষার্থীরা এই প্রশ্নের উত্তর দিতে একটি নকশা করা শিল্পকর্ম তৈরি করে অর্জিত জ্ঞান উপস্থাপন করে।
প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষার নির্মাণবাদী পদ্ধতি শিক্ষক কর্তৃক পরিচালিত গাইডেড ডিসকভারি পদ্ধতির মাধ্যমে পরিচালিত হয়। এখানে বিশুদ্ধ স্বাধীন অনুসন্ধান। এটি অনেক সময় শিক্ষার্থীদের খুব বেশি স্বাধীনতা দেওয়ার জন্য সমালোচিত। এক্ষেত্রে এটি এড়িয়ে নির্দিষ্ট একটি প্রশ্নের মাধ্যমে শিক্ষার পথ নির্ধারণ করা হয়<ref name=":40">van Merrienboer, J. J. G., Paul A. Kirschner, & Liesbeth Kester. (2004). Taking the Load off a Learner’s Mind: Instructional Design for Complex Learning. Amsterdam: Open University of the Netherlands.</ref>। এই ধরনের নির্মাণবাদী শিক্ষাপদ্ধতি শিক্ষার্থীদের চিন্তন প্রক্রিয়া উন্নত করতে কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে<ref name=":40" />। প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা শিক্ষার্থীদের শেখানো প্রশ্নের উত্তর নিজেরা বের করতে উৎসাহিত করে এবং সেই সঙ্গে অনুসন্ধান, বিশ্লেষণ এবং উপস্থাপনার জন্য একটি কাঠামো প্রদান করে। ফলে, প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা নির্বাচন, সংগঠন এবং জ্ঞান একীভূত করার মাধ্যমে তাৎপর্যপূর্ণ ও মানসিকভাবে উপকারী শেখার সুযোগ তৈরি করে<ref name=":40" />।
=== অভিজ্ঞতা হল শেখার ভিত্তি ===
প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা শিক্ষার একটি শাখা যা কাজের মাধ্যমে শেখাকে গুরুত্ব দেয়। জন ডিউই উল্লেখ করেছেন যে শিক্ষক ও বিদ্যালয়গুলোকে অভিজ্ঞতা ও নির্মাণবাদী পদ্ধতির মাধ্যমে তত্ত্ব ও বাস্তব জীবনের মধ্যে সম্পর্ক গভীর করতে শিক্ষার্থীদের সাহায্য করা উচিত। ডিউই বলেছেন, শিক্ষার মধ্যে অভিজ্ঞতার ধারাবাহিকতা ও শিক্ষা গণতন্ত্রায়নের একটি ধারা থাকা উচিত যাতে মানব অভিজ্ঞতার মান উন্নত হয়<ref name=":39" />। এই দুটি উপাদান প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এখানে বাস্তব সমস্যা নিরসনে সমাধান উপস্থাপন এবং দলগত সহযোগিতার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের নিজস্ব সমাধান খোঁজার সুযোগ থাকে। ব্লুমেনফেল্ড প্রমুখ উল্লেখ করেছেন যে প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষার মূল্য নিহিত শিক্ষার্থীদের সাথে সম্পর্কিত প্রশ্নে — যেমন ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য, সমাজের সমস্যা, বা চলমান ঘটনাবলীতে<ref name=":48" />।
প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষার ভিত্তি জঁ পিয়াজের চিন্তায়ও রয়েছে, যিনি মনে করতেন যে শিক্ষার্থীরা পূর্ববর্তী জ্ঞানকে ভিত্তি করে নতুন কিছু শিখে এবং সেই সাথে নতুন সংযোগ তৈরি করে সর্বোত্তমভাবে শিখে। শিক্ষার্থীর বুদ্ধিমত্তা গঠিত হয় তার পরিবেশের উপাদানগুলো আত্মস্থ করে, এবং বিভিন্ন নতুন স্কিমাকে গ্রহণ করে পূর্ব ধারণাকে পরিবর্তন করে<ref>Piaget, Jean; Cook, Margaret (Trans). The construction of reality in the child. New York, NY, US: Basic Books The construction of reality in the child. (1954). xiii 386 pp. http://dx.doi.org/10.1037/11168-000.</ref>। পিয়াজে মনে করতেন, শিক্ষার্থী নিজেরা জ্ঞান আবিষ্কার করতে পারবে, তবে সহযোগিতা ছাড়া তাদের সমাধান সুসংগঠিত হবে না<ref name=":40" />। প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা পিয়াজের এই সম্মিলিত যোগাযোগ ও দলগত শিখনের গুরুত্বকে স্বীকৃতি দেয়।
=== আত্ম-প্রণোদনা শিক্ষার্থীর শেখাকে এগিয়ে নেয় ===
প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা শিক্ষার্থীদের বিভিন্নভাবে উপকার করে যেমন জ্ঞান অর্জন, যোগাযোগ এবং সৃজনশীলতা বৃদ্ধির মাধ্যমে। একটি নির্দিষ্ট চ্যালেঞ্জে যুক্ত হয়ে শিক্ষার্থীরা গভীরভাবে বিষয়বস্তু অনুধাবন করে। এছাড়া, সহযোগিতামূলক শিক্ষার কারণে যোগাযোগ, নেতৃত্ব এবং সামাজিক দক্ষতা বাড়ে। শিক্ষার্থীরা বিষয়বস্তু দীর্ঘ সময় ধরে মনে রাখতে পারে এবং কী শিখছে তা ভালোভাবে বোঝে। প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষাকে সমর্থন করার জন্য কমপক্ষে চারটি জ্ঞানতাত্ত্বিক ক্ষেত্র আছে<ref name=":37" /> – প্রণোদনা, দক্ষতা, প্রাসঙ্গিকতা, এবং প্রযুক্তি।
[[চিত্র:Ashs-impact_projects.ogv|থাম্ব|শিক্ষার্থীরা তাদের প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষার মডেল নিয়ে প্রেরণার কথা বলছে]]
শিক্ষার্থী যদি কোনো বিষয়ের শিখন ও পারদর্শিতার উপর ভিত্তি করে প্রণোদিত হয়, তাহলে তারা দীর্ঘস্থায়ীভাবে তাদের কাজের সাথে যুক্ত থাকে<ref>Ames, C. (1992). Classrooms: goals, structures, and student motivation. Journal of Educational Psychology, 84, 261-271.</ref>। তাই, প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা প্রতিযোগিতার পরিবর্তে সহযোগিতামূলক লক্ষ্য নির্ধারণ করে। এটিতে ব্যক্তিগত শিক্ষার্থীরা হুমকির সম্মুখীন না হয় এবং শেখায় মনোনিবেশ করতে পারে<ref name=":37" />। প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা শিক্ষার্থীদের এমনভাবে পরিকল্পনা করে যাতে তারা একসাথে লক্ষ্য অর্জন করতে পারে, ভয় বা সমালোচনার ভীতি ছাড়াই। উদাহরণস্বরূপ, হেল্লে প্রমুখ একটি গবেষণায় তথ্য ব্যবস্থা নকশা বিষয়ে শিক্ষার্থীদের সাত মাসব্যাপী একটি প্রকল্পে কাজ করতে দেন। শিক্ষার্থীদের একটি প্রশ্নপত্রের মাধ্যমে তাদের প্রেরণার মাত্রা পরিমাপ করা হয়। গবেষণায় দেখা যায় প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে অন্তর্নিহিত প্রেরণা ০.৫২ স্ট্যান্ডার্ড ডেভিয়েশন বৃদ্ধি পেয়েছে। এটি ইঙ্গিত দেয় প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষার্থীরা আত্মপ্রণোদনার মাধ্যমে কাজ সম্পন্ন করে। বিশেষভাবে। এটিদের আত্মনিয়ন্ত্রণ কম ছিল তাদের মধ্যে প্রেরণা আরও বেশি বেড়েছে<ref>Helle, Laura, Paivi Tynjara, Erkki Olkinora, Kristi Lonka. (2007). “Aint nothin’ like the real thing”. Motivation and study processes on a work-based project course in information systems design. ''British Journal of Educational Psychology,'' 70(2), 397-411.</ref>।
অনেক শিক্ষার্থীর মাঝে মেটাকগনিশন ও আত্মনিয়ন্ত্রণের অভাব রয়েছে, অথচ শিক্ষার্থীদের বিকাশে এই দক্ষতাগুলোর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে<ref name=":37" />। প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষায় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর সম্পর্কের মাধ্যমে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের উচ্চতর অনুসন্ধান পদ্ধতির মডেল হিসেবে ব্যবহার করে স্ক্যাফোল্ডিং প্রয়োগ করতে পারেন, ফলে মধ্যম ও উচ্চতর শ্রেণির শিক্ষার্থীরা অর্থপূর্ণ শিক্ষা ও পরিপক্ব ফলাফল দিতে সক্ষম হয়<ref name=":49">Joseph Krajcik , Phyllis C. Blumenfeld , Ronald W. Marx , Kristin M. Bass , Jennifer Fredricks & Elliot Soloway (1998) Inquiry in Project-Based Science Classrooms: Initial Attempts by Middle School Students, Journal of the Learning Sciences, 7:3-4, 313-350, DOI: 10.1080/10508406.1998.9672057</ref>। শিক্ষার্থীরা ধীরে ধীরে নিজেদের তৈরি করা দক্ষতার উপর বিশেষজ্ঞে পরিণত হয়।
প্রাসঙ্গিকভাবে, বাস্তব পরিস্থিতির সঙ্গে যত বেশি সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়, ততই পরিবেষ্টিত জ্ঞান কার্যকর হয়<ref name=":372" />। সেই দৃষ্টিকোণ থেকে প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা শিক্ষার্থীদের আত্মবিশ্বাস বাড়ায় যাতে তারা বিদ্যালয়ের বাইরেও অনুরূপ কাজ সফলভাবে করতে পারে, কারণ তারা বিষয়বস্তুকে জ্ঞানের কৃত্রিম সীমানা হিসেবে আর দেখে না। গর্জেস এবং গোকে (২০১৫) একটি অনলাইন জরিপের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের প্রধান প্রধান বিষয়গুলোর দক্ষতার আত্ম-উপলব্ধি এবং বাস্তব জীবনে তা প্রয়োগ করার সম্পর্কটি অনুসন্ধান করেন। শিক্ষার্থীরা সমস্যা সমাধানের দক্ষতা এবং তা বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করার বিষয়ে আত্মবিশ্বাস দেখিয়েছে, যেমন গর্জেস এবং গোকে<ref name=":41">Gorges, Julia, Thomas Goke. (2015). How do I Know what I can do? Anticipating expectancy of success regarding novel academic tasks. ''British Journal of Educational Psyschology,'' 85(1), 75-90.</ref> উল্লেখ করেন। যারা প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা অনুসরণ করেছে, তাদের আত্ম-দক্ষতা এবং গণিত (এসডি .৭৭), ইতিহাস (এসডি .৭২) ইত্যাদি বিষয়গুলোতে দক্ষতা সম্পর্কে আত্ম-ধারণা বৃদ্ধি পেয়েছে<ref name=":41" />। তাই শিক্ষার্থীরা শিক্ষাবহির্ভূত পরিবেশেও বিষয়ভিত্তিক জ্ঞান প্রয়োগে বেশি আত্মবিশ্বাসী হয়। এছাড়া, কোর্স শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এবং ১২ সপ্তাহ থেকে ২ বছরের মধ্যে শিক্ষার্থীদের তুলনায় প্রাপ্ত ফলাফল থেকে বোঝা যায়, প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা জ্ঞান ধরে রাখতে অনেক বেশি সহায়ক<ref name=":41" />।
প্রযুক্তির ব্যবহার শিক্ষার্থীদের একটি বেশি বাস্তব অভিজ্ঞতা দেয়, কারণ এতে ডেটা, ব্যাপক ইন্টারঅ্যাকশন এবং সহযোগিতা থাকে, এবং বাস্তব দুনিয়ায় ব্যবহৃত সামগ্রীর অনুকরণ করে<ref name=":372" />। প্রযুক্তির মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা থেকে আরও বেশি উপকার পায়, কারণ এতে জ্ঞান অনুসন্ধানে স্বায়ত্তশাসন এবং দলের সদস্যদের সঙ্গে সংযোগ তৈরি হয়। শিক্ষার্থীরা সৃজনশীল হয়, কারণ তাদের প্রকৃত সমস্যার জন্য নতুন নতুন সমাধান বের করতে হয়। উদাহরণস্বরূপ, হাং ও হোয়াং-এর মতে<ref>Hung, C.-M., Hwang, G.-J., & Huang, I. (2012). A Project-based Digital Storytelling Approach for Improving Students' Learning Motivation, Problem-Solving Competence and Learning Achievement. ''Educational Technology & Society'', 15 (4), 368–379. </ref>, প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা-এর আওতায় ডিজিটাল স্টোরিটেলিং ব্যবহার করে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গ্লোবাল ওয়ার্মিং বিষয়ে একটি নির্দিষ্ট প্রশ্নের উত্তর খোঁজার জন্য ছবি সংগ্রহ করার কাজ পরীক্ষার ফলাফলে তাৎপর্যপূর্ণ উন্নতি ঘটায় (এসডি ০.৬৪)। শিক্ষার্থীদের জ্ঞান খুঁজে বের করতে সাধারণত বিভিন্ন বিষয়ে পেরিয়ে যেতে হয়, ফলে তারা বহুমাত্রিক জ্ঞান ব্যবহার করে সমস্যার সমাধান তৈরি করে।
=== প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা বাস্তবায়নে শিক্ষকদের প্রাপ্ত চ্যালেঞ্জ ===
এই ধরনের শিক্ষণ পদ্ধতির বিরুদ্ধে প্রধান অভিযোগ হলো, প্রকল্পটি অগোছালো হয়ে যেতে পারে এবং সমস্যা সমাধানের জন্য যথাযথ শ্রেণিকক্ষ সময় নাও থাকতে পারে। অনেক শিক্ষকের মধ্যে প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা উপেক্ষিত হয় কারণ তারা এটি প্রয়োগ করার জন্য প্রশিক্ষণ বা প্রাসঙ্গিক জ্ঞান পায় না। প্রযুক্তির মাধ্যমে কার্যকর মূল্যায়নের জন্য অতিরিক্ত ব্যয় শিক্ষকদের নিরুৎসাহিত করে<ref name=":42">Efstratia, Douladeli. (2014). Experiential education through project based learning. ''Procedia – Social and Behavioral Sciences''. 152, 1256-1260.</ref>। সমালোচকদের মতে, এই তথ্যগুলো বক্তৃতাভিত্তিক পদ্ধতিতেও প্রদান করা যায় এবং ফলাফল ততটাই কার্যকর হতে পারে। এছাড়া, শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষে সময় নষ্ট করতে পারে এবং যদি তারা ক্রমাগত প্রকল্প ও শিক্ষার প্রতি মনোযোগ না দেয়, তবে প্রকল্পটি সফল হবে না। প্রচলিত পদ্ধতিতে শিক্ষা প্রদানকারী শিক্ষকরা প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা-কে চ্যালেঞ্জিং মনে করেন, কারণ এতে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংযোগ রক্ষা এবং সময় ব্যবস্থাপনা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে—যা সকল শিক্ষকের জন্য সহজ নয়<ref name=":42" />। ব্লুমেনফেল্ড প্রমুখ (১৯৯৮) বলেন প্রকৃত সফলতা তখনই আসে, যখন প্রকল্পটি একটি সংগঠিত কাঠামোর মধ্যে হয়। এখানে শিক্ষক মডেলিং, উদাহরণ, কৌশল, নির্দেশিকা প্রদান, কার্যক্রম চলাকালীন প্রতিক্রিয়া এবং কাজ সংশোধনের সুযোগ দেন<ref name=":492" />।
=== শিক্ষার্থীদের সমালোচনামূলক চিন্তনের মাধ্যমে খাঁটি ফলাফলের প্রয়োজন ===
[[চিত্র:Framework_for_21st_Century_Learning.jpg|থাম্ব|একবিংশ শতাব্দীর শিক্ষার কাঠামো]]
প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা বিভিন্ন বিষয়ে প্রযোজ্য, বিশেষ করে একবিংশ শতকের শিক্ষার পুনঃসংজ্ঞায়ন (বিভিন্ন স্তরের, প্রযুক্তিনির্ভর, সহযোগিতামূলক, আন্তঃবিষয়ক) প্রেক্ষাপটে। STEM - Science, Technology, Engineering, Mathematics (বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল, গণিত) একবিংশ শতকের এমন একটি শিক্ষা ক্ষেত্র যেখানে প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা প্রাকৃতিকভাবে বিভিন্ন বিষয়ের মধ্যে সেতুবন্ধন গঠন করে। STEM-এর মূল উদ্দেশ্য হলো মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার চ্যালেঞ্জ এবং প্রকৃত জীবনের দলভিত্তিক জটিল সমস্যা সমাধানে প্রস্তুত করা। স্বাস্থ্য, প্রকৌশল, কম্পিউটার নকশা এবং শিক্ষা সহ অনেক পেশাগত ক্ষেত্র প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা থেকে উপকৃত হতে পারে।
প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জ্ঞান সম্প্রসারণ এবং জটিল পরিস্থিতিতে সফলতা অর্জনের সুযোগ দেয়<ref name=":43">Capraro, R. M., Capraro, M. M., & Morgan, J. (2013). STEM Project-Based Learning: An Integrated Science, Technology, Engineering, and Mathematics (STEM) Approach (2nd Edition). New York, NY: Sense. </ref>। এ ছাড়াও, শিক্ষার্থীরা নিজের শক্তি ও দুর্বলতা সম্পর্কে গভীর উপলব্ধি গড়ে তোলে<ref name=":43" />। ফলাফল হিসেবে একজন শিক্ষার্থী গড়ে ওঠে যে চিন্তাশীল, বিশ্লেষণধর্মী এবং বাস্তব পরিস্থিতিতে তা প্রয়োগে সক্ষম। শিক্ষার্থীর তৈরি চূড়ান্ত পণ্য একটি বাস্তবিক ফলাফল প্রদান করে। এটি দায়িত্বশীলতা এবং প্রকল্পের নির্দেশনা ও সীমাবদ্ধতাকে মান্য করে<ref name=":43" />।
শিক্ষার্থীরা নির্দিষ্ট ফলাফলের দিকে মনোযোগ দেয়, কাজের গণ্ডি বোঝে এবং একটি কার্যকর উপস্থাপনযোগ্য সামগ্রী তৈরি করে। এর মাধ্যমে তারা উচ্চ-প্রযুক্তি, দ্রুতগামী কর্মপরিবেশে কাজ করতে প্রস্তুত হয় যেখানে উদ্ভাবন, সহযোগিতা এবং ফলাফলভিত্তিক কার্যসম্পাদন অপরিহার্য।
প্রযুক্তি এমন একটি ক্ষেত্র যেখানে প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা বাস্তব প্রয়োগে দক্ষতা গড়ে তোলে, ফলে নতুন প্রযুক্তির দ্বারা প্রদত্ত জ্ঞানীয় সরঞ্জামগুলো প্রকল্পে অপরিহার্য হলে তা কার্যকর প্রমাণিত হয়<ref name=":482" />। উদাহরণস্বরূপ, যেসব কম্পিউটার নকশাকাররা পূর্বে থেকে কিছু জ্ঞান রাখেন তারা হয়তো অপারেটিং সিস্টেম ট্রাবলশুট করতে পারেন, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে বিষয়বস্তু কিভাবে একত্রে কাজ করে তা বোঝেন না এবং তাদের দক্ষতা সম্পর্কে ভুল ধারণা থাকে<ref>Gary, Kevin. (2013), Project-Based Learning. ''Computer.'' (Vol 48:9). Tempe: Arizona State. </ref>।
== প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষার একটি উপশ্রেণী হিসেবে নকশা-থিংকিং ==
=== বাস্তব জীবনের সমস্যার সমাধানে ব্যবহারিক নকশার প্রক্রিয়া ব্যবহার ===
[[চিত্র:Design_thinking.png|থাম্ব|নকশা চিন্তন-এ শিক্ষার্থীকে একটি নির্দিষ্ট কাঠামোগত প্রক্রিয়ার মধ্যে কাজ করে একটি নকশা চ্যালেঞ্জ সমাধান করতে হয়]]
''[[চিন্তন ও নির্দেশনা/সমস্যা সমাধান, সমালোচনামূলক চিন্তন ও যুক্তি#glos Design Thinking|নকশা চিন্তন]]'' হলো একটি শিক্ষাদান পদ্ধতি। এটি প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষার একটি শাখা হিসেবে চ্যালেঞ্জভিত্তিক সমস্যা সমাধানের কন্সট্রাকশনিস্ট পদ্ধতিতে শেখানোর উপর ভিত্তি করে তৈরি। এটি এমন একটি শাখার সমন্বয় হিসেবে বোঝা উচিত, যেগুলোর জ্ঞানচর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে নকশা<ref name=":44">Cross, N. (2007). ''Designerly ways of knowing''. Basel, Switzerland: Birkha¨user.</ref>।
নকশা চিন্তনের একটি উদাহরণ হতে পারে, যখন শিক্ষার্থীরা বাস্তব জীবনের কোনো সমস্যার সমাধান খুঁজছে। তবে প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষার চেয়ে এটি একটু ভিন্ন; নকশা চিন্তন শিক্ষার্থীদেরকে একটি নির্দিষ্ট কাঠামোগত প্রক্রিয়ার মধ্যে থেকেই একটি ব্যবহারিক সমাধান তৈরি করতে বলে (চিত্র ৩), যেমন—একটি গ্রামে নিরাপদ পানীয় পানি পৌঁছে দেওয়ার উপায় খুঁজে বের করা। নকশাকাররা সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক দিকগুলো বিবেচনা করবে, তবে তারা এমন একটি কার্যকর প্রোটোটাইপ তৈরি করবে যা বাজারে আনা সম্ভব। ফলে একটি পানির সরবরাহ ব্যবস্থা তৈরি করা যেতে পারে। এটি স্থানীয় উপকরণ, অর্থায়ন এবং নীতিমালার সীমার মধ্যে থেকে কাজ করবে।
এই পদ্ধতিতে সহানুভূতি, সমস্যা সংজ্ঞায়ন, ধারণা তৈরি, প্রোটোটাইপ এবং পরীক্ষা — এই মূলনীতি অনুসরণ করে নকশাের চ্যালেঞ্জ পূরণ করা হয়। এখানে একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য (সমাধান) নিয়ে শুরু করে, নকশার মাধ্যমে সৃজনশীল এবং ব্যবহারিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের ওপর জোর দিয়ে ভবিষ্যতের উন্নত ফলাফল অর্জনের চেষ্টা করা হয়। এটি এমন এক ধরণের চিন্তা প্রক্রিয়া। এখানে সমস্যার সূক্ষ্ম দিকগুলো বিশ্লেষণ করে গোপন উপাদানগুলো খুঁজে বের করা হয় একটি কার্যকর সমাধানের জন্য। অর্জিত লক্ষ্য তখন পরবর্তী লক্ষ্য নির্ধারণ ও সমস্যা সমাধানের জন্য প্রাথমিক ভিত্তি হিসেবে কাজ করে<ref name=":44" />।
[[চিত্র:DesignThinking.ogv|থাম্ব|নকশা চিন্তন - ''শিশুদের ব্যায়ামে উৎসাহ দিতে একটি মুভমেন্ট সেন্সর ডিভাইস নকশা'' করার উদাহরণ]]
এই ধরণের শিক্ষাগত পদ্ধতির ভিত্তি হলো, আধুনিক বিশ্ব আসলে কৃত্রিম গঠনে পূর্ণ, এবং আমাদের সভ্যতা ঐতিহাসিকভাবে এই ধরনের কৃত্রিম জিনিসের ওপর নির্ভর করে প্রযুক্তিগত অগ্রগতি অর্জন করেছে। নকশা চিন্তনের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা হারবার্ট সাইমন বলেন, আজকের শিক্ষার্থীদের ঘেরা বিশ্ব প্রাকৃতিক জগতের চেয়ে অনেক বেশি কৃত্রিম<ref>Simon, H. A. (1996). ''The sciences of the artificial''. Cambridge, MA: MIT Press.</ref>। নকশা চিন্তনের চ্যালেঞ্জ হলো শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল চিন্তাভাবনার ক্ষমতা বাড়িয়ে উদ্ভাবনী দক্ষতা গড়ে তোলা<ref>Aflatoony, Leila & Ron Wakkary, (2015). ''Thoughtful Thinkers: Secondary Schooler’s Learning about Design Thinking.'' Simon Fraser University: Surrey, BC.</ref>।
নকশা চিন্তন একটি টুল হিসেবে ব্যবহৃত হয় প্রচলিত শিক্ষামূলক প্রকল্পগুলোকে প্রকল্প ভিত্তিক চিন্তার কাঠামোয় রূপান্তর করতে। ভ্যান মেরিয়েনবোয়ার (২০০৪) পুরো কাজ অনুশীলনের জন্য নকশা শেখাকে একটি কাঠামো হিসেবে দেখেছেন। এটি শিক্ষার্থীদের জন্য অন্তর্নিহিত জ্ঞানীয় চাপ কমায় এবং তারা সহজ উদাহরণের মাধ্যমে অনুশীলন করতে পারে<ref name=":402" />। এজন্যই নকশা চিন্তন বর্তমানে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে, কারণ এটি শিক্ষার্থীর জানা ও শেখার মধ্যে সেতুবন্ধন গড়ে তোলে যা একবিংশ শতাব্দীর দক্ষতা অর্জনের প্রেক্ষাপটে গুরুত্বপূর্ণ। এই প্রক্রিয়ার একটি আরেকটি উদাহরণ হলো এমন একটি পণ্য নকশা করা। এটি শিশুদের শারীরিক কার্যকলাপ বাড়াতে সহায়তা করবে (উপরে উল্লিখিত ভিডিওটি দেখুন)। নিচে নকশা চিন্তনের কাঠামো ব্যবহার করে তা ব্যাখ্যা করা হয়েছে:
{| border="1"
|+'<nowiki/>'''''নকশা চিন্তনের উদাহরণ - শিশুদের ব্যায়ামে উৎসাহ দিতে একটি মুভমেন্ট সেন্সর ডিভাইস তৈরি''''''
!নকশা ধাপ
!ফলাফল
|-
|[[চিত্র:Empathy_-_Design_Thinking.png|কেন্দ্র|ফ্রেমহীন|113x113পিক্সেল]]
|'''মানুষদের থেকে শেখা''' - "কিভাবে একটি মুভমেন্ট সেন্সর ডিভাইস ব্যবহারে আগ্রহ সৃষ্টি করা যায়?" যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে শিশুদের তাদের পছন্দ, অভ্যাস, বিরক্তির কারণ জানাতে বলা হয়। গড়পড়তা শিশুদের পাশাপাশি অতিমাত্রায় সক্রিয় এবং অতি নির্জীব শিশুদেরও সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়। এই চরমপন্থী শিশুরা সাধারণ শিশুদের চাহিদা আরও ভালোভাবে ব্যাখ্যা করতে সক্ষম।
|-
|[[চিত্র:Define_-_Design_Thinking.png|কেন্দ্র|ফ্রেমহীন|111x111পিক্সেল]]
|'''ধরন খোঁজা''' - সাক্ষাৎকারের ফলাফল পোস্ট-ইট নোটে লিখে সংগঠিত করা হয়। এমন ধরন খোঁজা হয় যা সুযোগ তৈরি করে। কেউ কেউ বলেছে তারা খেলাধুলার সময় সামাজিক হতে চায়, আবার কেউ বলেছে তারা ব্যায়ামের সময় অন্যদের সাথে কথা বলতে পছন্দ করে।
|-
|[[চিত্র:Ideate_-_Design_Thinking.png|কেন্দ্র|ফ্রেমহীন|111x111পিক্সেল]]
|'''নকশা নীতিমালা''' - গবেষণার মাধ্যমে কিছু নির্দিষ্ট নকশা নীতিমালা তৈরি করা হয়েছে, যেমন—"সব সময় সামাজিক মিথস্ক্রিয়া সহজ করা", "প্রথমেই পুরস্কার বৃদ্ধি করে অংশগ্রহণ বাড়ানো", "শুধু শিশু নয়, পারিবারিকভাবে সক্রিয় হওয়ার প্রেরণা দেওয়া", "বাড়িতে থাকা শিশুদের প্রতি বিশেষ নজর দেওয়া"। এই নীতিমালাগুলো প্রোটোটাইপ নকশাের দিকনির্দেশনা হিসেবে কাজ করে।
|-
|[[চিত্র:Prototype_-_Design_Thinking.png|কেন্দ্র|ফ্রেমহীন|111x111পিক্সেল]]
|'''বাস্তব রূপ দেওয়া''' - এই নীতিমালাগুলো কিভাবে একটি ব্যবহারযোগ্য পণ্যে রূপান্তর করা যায়? এই নীতিমালার ভিত্তিতে প্রোটোটাইপ তৈরি করা হয়।
|-
|[[চিত্র:Test_-_Design_Thinking.png|কেন্দ্র|ফ্রেমহীন|111x111পিক্সেল]]
|'''পুনরাবৃত্তি করা''' - কাগজ-কলমে ইলেকট্রনিক ডিভাইসের ইন্টারফেসের মকআপ তৈরি করা হয় এবং শক্ত কাগজ ও টেপ ব্যবহার করে যন্ত্র তৈরি করা হয়। শিশুদের জন্য ডিজিটাল ও বাস্তব মডেল তৈরি করে তা পরীক্ষা ও মতামত নেওয়া হয়। চূড়ান্ত ফলাফল হয় একটি পরিশোধিত মডেল। এটি এই প্রতিক্রিয়ার ভিত্তিতে তৈরি।
|}
=== কৃত্রিম জগতে নকশা নিয়ে সমালোচনামূলক চিন্তা ===
নকশা চিন্তনের ইতিহাস নির্দিষ্ট কিছু পণ্ডিতের মাধ্যমে চিহ্নিত করা যায়, যেমন হারবার্ট সাইমন, ডোনাল্ড শন এবং নাইজেল ক্রস। সাইমন ১৯৬৯ সালে শিক্ষার জগতে পেশাগত ফাঁক নিয়ে তার গবেষণা প্রকাশ করেন। তিনি লক্ষ্য করেন, প্রাকৃতিক বিজ্ঞানের মতো, কৃত্রিম জগতে জটিল বিষয়গুলোর সরলতা উদঘাটন করাও বিজ্ঞানীদের মতোই প্রয়োজন<ref name=":45">Koh, Joyce Hwee Ling, Chin Sing Chai, Benjamin Wong, & Huang-Yao Hong. (2015) ''Design Thinking for Education.'' Singapore: Springer Science + Business Media.</ref>। এর মধ্যে শুধু বিজ্ঞান নয়, কলা ও মানববিদ্যার প্রক্রিয়াও অন্তর্ভুক্ত হওয়া উচিত, কারণ সঙ্গীতের মধ্যেও গণিতের মতো কাঠামোগত প্যাটার্ন আছে (সাইমন, ১৩৬)। তাই সবার সৃজনশীল নকশা একটি সাধারণ ভাষা ও তার প্রয়োগের ওপর ভিত্তি করে।
ডোনাল্ড শন, যিনি এমআইটি-তে আরবান প্ল্যানিং ও শিক্ষার ফোর্ড অধ্যাপক ছিলেন, নকশা চিন্তন-কে একটি শিল্প এবং অন্তর্জ্ঞানভিত্তিক সমস্যা সমাধানের প্রক্রিয়া হিসেবে বর্ণনা করেন<ref name=":46">Schon, D. A. (1983). ''The reflective practitioner: How professionals think in action'' (Vol. 5126). New York, NY: Basic Books.</ref>। শন উপলব্ধি করেন যে নকশা প্রক্রিয়ার একটি অংশ হলো সেই “ক্রিয়ার মধ্যে প্রতিফলন” যা সমালোচনামূলক চিন্তা ও ধারণা তৈরির সময় আবশ্যক। সমস্যা সমাধানের সমাধান কেবল পাঠ্যবইয়ে থাকে না; বরং নকশাকারদের নিজস্ব প্রেক্ষাপট অনুধাবনের ক্ষমতার মধ্যেই তা নিহিত থাকে<ref name=":45" />।
ক্রস এই পূর্ববর্তী ধারণাগুলোকে শিক্ষার প্যাডাগজিতে রূপান্তর করেন এবং বলেন নকশা চিন্তন বিজ্ঞানের পাশাপাশি মানববিদ্যায়ও সাধারণ শিক্ষার অংশ হওয়া উচিত<ref name=":44" />। তিনি মনে করেন, শিক্ষার্থীরা যদি এই চিন্তার পদ্ধতি ব্যবহার করে উৎসাহিত হয়, তবে তাদের নন-ভার্বাল চিন্তা ও যোগাযোগ দক্ষতা উন্নত হবে<ref name=":44" />।
=== বিঘ্ন ঘটানো অর্জন হিসেবে সমালোচনামূলক চিন্তা ===
নকশা চিন্তন একটি নির্দিষ্ট প্রবাহ অনুসরণ করে — তাত্ত্বিক থেকে ব্যবহারিক দিকে। এটি কার্যকর শিক্ষার্থী সমাধান উদ্ভাবনের জন্য নির্দেশিত শিক্ষার ওপর নির্ভর করে এবং শুধু অনুসন্ধানের ওপর নয়, কারণ কেবল অনুসন্ধান দীর্ঘমেয়াদী স্মৃতির সীমা অতিক্রম করতে পারে না বলে মনে করা হয়<ref name=":44" />। নকশা চিন্তন শিক্ষার্থীকে তাদের প্রক্রিয়া সম্পর্কে মেটা-অ্যানালাইসিস করতে বাধ্য করে। সৃজনশীলতা (উদ্ভাবনী চিন্তা) নকশা চিন্তন-এ স্পষ্ট হয়, যখন এটি স্মৃতি উদ্দীপনায় মনোযোগ বিভাজন এবং মনোযোগ কেন্দ্রীকরণের মাধ্যমে উদ্ভাসিত হয়<ref name=":44" />। হু প্রমুখ (২০১০) একটি গবেষণায় চার বছরের একটি নির্দিষ্ট পাঠদান পদ্ধতিতে প্রাথমিক শিক্ষার্থীদেরকে যৌক্তিক চিন্তার মাধ্যমে নকশা প্রকল্পের জন্য ‘ডিসরাপটেড থিংকিং’ প্রয়োগ করতে শেখান। ফলাফল থেকে দেখা যায় যে তাদের চিন্তার ক্ষমতা (এসডি .78) বৃদ্ধি পায় এবং এটি দীর্ঘমেয়াদে শিক্ষাগত সাফল্য বৃদ্ধি করে<ref>Hu, Weiping, Philip Adey, Xiaojuan Jia, Jia Liu, Lei Zhang, Jing Li, Xiaomei Dong. (2010). Effects of a “Learn to Think” Intervention programme on primary school students. ''British Journal of Educational Psychology''. 81(4) 537-557.</ref>। এটি সৃজনশীল প্রক্রিয়ায় বিচ্ছিন্ন ও সমন্বিত চিন্তার ব্যবহার প্রমাণ করে। এটি দীর্ঘমেয়াদি স্মৃতির সঙ্গে সম্পর্কিত উচ্চ পর্যায়ের চিন্তার ইঙ্গিত দেয়। নকশা চিন্তন স্পষ্টভাবে শিক্ষার্থীদের এই ক্ষমতা অর্জনে সহায়তা করে।
=== নকশাকাররা কি বৈজ্ঞানিক নন? ===
নকশা চিন্তনের সমালোচকরা বলেন, নকশা নিজেই কোনো বিজ্ঞান নয় কিংবা কোনো জ্ঞানীয় শেখার পদ্ধতি নয়; এটি অন্তর্জ্ঞানভিত্তিক হওয়ায় অবৈজ্ঞানিক কাজ হিসেবে বিবেচিত। শিক্ষার্থীরা এখানে প্রকৃত জ্ঞানীয় অনুশীলনের (যেমন—বৈজ্ঞানিক যুক্তি প্রয়োগ) মধ্যে থাকে না। তবে ক্রস-এর বিশ্বাস হলো নকশা নিজেই একটি বিজ্ঞান। এটি নিয়মিত ও নির্ভরযোগ্য পদ্ধতিতে অধ্যয়ন করা যায়<ref name=":44" />। এছাড়াও শন বলেন, নকশা চিন্তন-এ তত্ত্ব ও অনুশীলনের মধ্যে সংযোগ রয়েছে। এর ফলে একটি তাত্ত্বিক ধারণা বাস্তব প্রোটোটাইপে রূপান্তরিত হয়<ref name=":46" />। নকশা চিন্তন হলো একটি বৈজ্ঞানিক জ্ঞানীয় অনুশীলন। এর মধ্যে রয়েছে প্রতিফলনমূলক অনুশীলন ও মেটা-চিন্তা। এই পদ্ধতি সেই প্রাকৃতিক ব্যবধান পূরণ করে। এটি তত্ত্ব ও বাস্তবতার মধ্যে দেখা যায়, এবং শিক্ষার্থীকে প্রচলিত পাঠ্যবইয়ের সীমা অতিক্রম করে নতুন কিছু করার সুযোগ দেয়। নকশা চিন্তন ক্লায়েন্ট বা বিশেষজ্ঞদের অনুমানভিত্তিক প্রতিক্রিয়ার পরিবর্তে এমন ফর্মে রূপ নেয় যা অপ্রত্যাশিত হতে পারে<ref name=":46" />।
=== একবিংশ শতাব্দীর শিক্ষার্থী ও বিচিত্র চিন্তার প্রয়োজন ===
নকশা চিন্তন একবিংশ শতাব্দীর প্রযুক্তি-ভিত্তিক দক্ষতার জন্য উপযুক্ত। এটি মূলত প্রযুক্তির প্রয়োগের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল ও সমালোচনামূলক দক্ষতা গড়ে তুলতে সহায়তা করে। নকশা হলো একটি আলাদা ধরনের চিন্তা। এটি একটি নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য পূরণের জন্য গুণগত সম্পর্ক তৈরি করে<ref name=":47">Wells, Alastair. (2013). The importance of design thinking for technological literacy: a phenomenological perspective''.'' ''International Journal Technol Des Educ.'' (23:623-636). DOI 10.1007/s10798-012-9207-7.</ref>। আরও স্পষ্ট করে বললে, এক বিশ্ব যা দ্রুত প্রযুক্তিনির্ভর হয়ে উঠছে, নকশা চিন্তন শিক্ষার্থীদের ‘অনুভবে নির্ভর করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ’, সূক্ষ্মতা বোঝার ক্ষমতা এবং তাদের কাজের পরিণতি মূল্যায়নের সক্ষমতা তৈরি করে<ref name=":47" />। নকশাকারকে প্রচলিত সমাধানের বাইরে চিন্তা করতে হয় এবং বর্তমান প্রযুক্তি ব্যবহার করতে জানতে হয়।
সুতরাং, নকশা চিন্তন ব্যবহারকারী শিক্ষার্থীরা প্রযুক্তির সমস্ত রূপকে সম্ভাব্য সমাধানের একটি প্রয়োগ হিসেবে বিবেচনা করে এগিয়ে যাচ্ছে। প্রোটোটাইপ তৈরি কেবল হার্ডওয়্যার প্রয়োগেই সীমাবদ্ধ নয়, এর মধ্যে সফটওয়্যার ব্যবহারের কথাও অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। অগমেন্টেড রিয়ালিটি এবং ভার্চুয়াল রিয়ালিটির মতো সর্বাধুনিক প্রযুক্তিও নকশা চ্যালেঞ্জের সমাধান হিসেবে গ্রহণযোগ্য হতে পারে।
ফলে, নকশা চিন্তনের নির্দিষ্ট প্রয়োগ সেইসব অধ্যয়নের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, যেগুলো প্রযুক্তিগত অভিযোজন এবং উদ্ভাবনের প্রয়োজন। বিশেষভাবে, K-12 BC নতুন পাঠ্যক্রম (২০১৬) তে ফলিত নকশা, দক্ষতা এবং প্রযুক্তির উপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। এখানে প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে তাদের পুরো শিক্ষাজীবন জুড়ে নকশা চিন্তনের জ্ঞান থাকা এবং প্রযুক্তির অগ্রগতির জন্য এর প্রয়োগ থাকা জরুরি। সুতরাং, নকশা চিন্তন শিক্ষার্থীদের সমালোচনামূলক চিন্তার প্রক্রিয়ায় সম্পৃক্ত করার জন্য একটি প্রাসঙ্গিক ও অপরিহার্য উপাদান।
= যুক্তি =
যুক্তি প্রদান একটি প্রক্রিয়া। এর মাধ্যমে কোনো ধারণার পক্ষে বা বিপক্ষে যুক্তি সংগঠিত ও উপস্থাপন করা হয়; অর্থাৎ এটি যুক্তি তৈরি ও প্রদর্শনের একটি কাজ। স্পষ্ট যোগাযোগের পাশাপাশি সমালোচনামূলক চিন্তা একটি ভাল যুক্তির উপাদান। এটি এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে একজন ব্যক্তি যুক্তিসঙ্গতভাবে সমস্যা, বিষয় ও বিরোধের সমাধান করে এবং প্রশ্নগুলোর সমাধান খোঁজে <ref name="jonassen">Jonassen, D.H., & Kim, B. (2010). Arguing to learn ad learning to argue: design justifications and guidelines. Education Technology & Research Development, 58(4), 439-457. DOI 10.1007/s11423-009-9143-8.</ref>।
যুক্তি প্রদানের চর্চায় দুটি মাত্রা রয়েছে: সংলাপ এবং কাঠামো <ref name="macagno">Macagno, F., Mayweg-Paus, W., & Kuhn, D. (2014). Argumentation theory in Education Studies: Coding and Improving Students’ Argumentative Strategies. Topoi, 34, 523-537.</ref>। যুক্তিতর্কপূর্ণ আলোচনায় সংলাপ নির্দিষ্ট ভাষিক কার্যক্রমের উপর ভিত্তি করে – যেমন গ্রহণ, প্রত্যাখ্যান, খণ্ডন ইত্যাদি। এটি বক্তার অবস্থানকে এগিয়ে নিতে সাহায্য করে। একটি যুক্তির কাঠামো আলোচনার বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গিকে আলাদা করে এবং বক্তারা যেসব অবস্থানের পক্ষে যুক্তি দিচ্ছেন তা স্পষ্ট করে <ref name="macagno" />।
== শিক্ষকেরা প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষার বাস্তবায়নে চ্যালেঞ্জ অনুভব করেন ==
এই ধরনের শিক্ষার বিরুদ্ধে একটি প্রধান যুক্তি হলো প্রকল্পটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে পড়তে পারে এবং শ্রেণিকক্ষে যথাযথ সময় না পাওয়ায় কার্যকর সমাধান তৈরির সুযোগ নাও থাকতে পারে। শিক্ষকেরা নিজেরাই প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষারকে গুরুত্ব দেন না কারণ এর বাস্তবায়নে তাদের প্রশিক্ষণ ও প্রয়োজনীয় পটভূমিগত জ্ঞান নেই। প্রযুক্তির মাধ্যমে কার্যকর মূল্যায়ন দিতে আর্থিক সীমাবদ্ধতাও শিক্ষকদের নিরুৎসাহিত করে (এফস্ট্রাটিয়া, ২০১৪, পৃষ্ঠা ১২৫৮)। শিক্ষার্থীরা যে তথ্য অর্জন করে তা বক্তৃতাভিত্তিক শিক্ষা দিয়েও প্রদান করা যায় এবং সমালোচকদের মতে তেমনটাই কার্যকর। তদুপরি, ঝুঁকি হলো শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষে সময় অপচয় করে এবং যদি তারা নিয়মিতভাবে কাজ ও শিক্ষাসংক্রান্ত বিষয়ে মনোযোগী না থাকে, তবে প্রকল্পটি সফল হবে না। প্রচলিত শিক্ষাপদ্ধতির শিক্ষকেরা মনে করেন, প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা শিক্ষার্থীদের বিষয়বস্তুর সাথে সংযোগ রক্ষা এবং সময় ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব শিক্ষকের উপর ফেলে। এটি সকল শিক্ষক রপ্ত করতে পারেন, এমন কোনো শিক্ষাদান পদ্ধতি নয় যা (এফস্ট্রাটিয়া, ২০১৪, পৃষ্ঠা ১২৫৮)।
== সমালোচনামূলক চিন্তার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের আসল ফলাফলের প্রয়োজন ==
প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা বিভিন্ন বিষয়ে প্রযোজ্য কারণ এর রয়েছে শিক্ষায় বহু প্রয়োগ এবং এটি একবিংশ শতাব্দীর শিক্ষার পুনঃসংজ্ঞায়নের (বিভিন্নীকরণ, প্রযুক্তিনির্ভরতা, সহযোগিতা, আন্তঃবিষয়কতা) সঙ্গে বিশেষভাবে প্রাসঙ্গিক। STEM (বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল, গণিত) হলো এমন একটি একবিংশ শতাব্দীর শিক্ষা পদ্ধতি যা প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা ব্যবহারকারী শিক্ষকদের কাছ থেকে উপকৃত হয় কারণ এটি স্বাভাবিকভাবেই বিভিন্ন ক্ষেত্রের মধ্যে সেতুবন্ধ তৈরি করে। STEM এর লক্ষ্য হলো মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার জন্য প্রস্তুত করা এবং তারা যেন বাস্তব জীবনের কাজের জগতে দলবদ্ধভাবে জটিল সমস্যা সমাধান করতে সক্ষম হয়। চিকিৎসা, প্রকৌশল, কম্পিউটার নকশা ও শিক্ষা সহ অনেক সম্ভাব্য পেশা প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা থেকে উপকৃত হতে পারে।
প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের তাদের জ্ঞান বিস্তারের সুযোগ দেয় এবং উচ্চ-চাপের পরিস্থিতিতে সাফল্য অর্জনের পথ তৈরি করে (ক্যাপ্রারো, প্রমুখ, ২০১৩, পৃষ্ঠা ২)। উপরন্তু, এই শিক্ষার্থীরাই তাদের শক্তি ও সীমাবদ্ধতার প্রতি আত্মবিশ্লেষণমূলক দৃষ্টিভঙ্গি অর্জন করে (ক্যাপ্রারো, প্রমুখ, ২০১৩, পৃষ্ঠা ২)। ফলাফল হলো এমন এক শিক্ষার্থী যে সমালোচনামূলক চিন্তায় দক্ষ এবং বাস্তব পরিস্থিতিতে তা প্রয়োগ করার সুযোগ পেয়েছে। উপরন্তু, একটি সমাপ্ত পণ্য নির্মাণ শেখার আসল ফলাফলের উপস্থাপনার একটি বাস্তব প্রত্যাশা। এই পণ্যের ফলাফল দায়বদ্ধতা দাবি করে এবং শিক্ষকের প্রত্যাশা ও প্রকল্পের সীমাবদ্ধতার প্রতি শিক্ষার্থীর অনুগত্য দেখায় (ক্যাপ্রারো, প্রমুখ, ২০১৩, পৃষ্ঠা ২)। শিক্ষার্থী নির্দিষ্ট ফলাফলের উপর মনোযোগ দেয়, কাজের পরিসীমা বোঝে এবং একটি কার্যকর বস্তু উপস্থাপন করে। এর তাৎপর্য হলো শিক্ষার্থীরা উচ্চ-প্রযুক্তিসম্পন্ন, দ্রুতগামী কর্মপরিবেশের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকবে যেখানে উদ্ভাবন, সহযোগিতা এবং ফলাফলের ভিত্তিতে তৈরি পণ্যই সফলতার মূল।
প্রযুক্তি এমন একটি ক্ষেত্র যেখানে প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা ব্যবহার করে বাস্তব জগতে প্রয়োগযোগ্য দক্ষতা গড়ে তোলা যায়। উদাহরণস্বরূপ, কম্পিউটার সিস্টেম নকশাকাররা পূর্বের জ্ঞান থাকায় হয়তো একটি অপারেটিং সিস্টেমের ত্রুটি খুঁজে বের করতে পারেন, কিন্তু তারা সত্যিই বোঝেন না কিভাবে বিভিন্ন উপাদান একসাথে কাজ করে, ফলে তারা তাদের দক্ষতা নিয়ে ভুল আত্মবিশ্বাসে ভোগেন (গ্রে, ২০১৩, পৃষ্ঠা ১)।
== বিঘ্নকারী সাফল্য হিসেবে সমালোচনামূলক চিন্তা ==
নকশা চিন্তন একটি নির্দিষ্ট ধারা অনুসরণ করে যা তত্ত্ব থেকে বাস্তবে রূপান্তরিত হয়। এটি কার্যকর শিক্ষার্থী সমাধান প্রচারে নির্দেশিত শিক্ষার উপর নির্ভর করে এবং অনুসন্ধানের সীমা অতিক্রম করে কারণ অনেক গবেষক মনে করেন শুধুমাত্র অনুসন্ধান কার্যকর নয় কারণ এটি দীর্ঘমেয়াদী স্মৃতির সীমা অতিক্রম করে (ল্যাজোন্ডার এবং হার্মসেন, ২০১৬, পৃষ্ঠা ২)। নকশা চিন্তন শিক্ষার্থীকে তাদের প্রক্রিয়ার উপর মেটা-অ্যানালাইসিস করতে উৎসাহিত করে। সৃজনশীলতা (উদ্ভাবনী চিন্তা) নকশা চিন্তনে স্পষ্ট হয়। এটি মনোযোগের বিস্তার এবং মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করার মাধ্যমে স্মৃতিকে উদ্দীপিত করে (গোল্ডস্মিট, ২০১৬, পৃষ্ঠা ১)। হু প্রমুখ (২০১০) একটি প্রক্রিয়া তৈরি করেন যাতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নির্দিষ্ট নকশা প্রকল্পের প্রতি যৌক্তিক সমালোচনামূলক চিন্তা প্রয়োগ করে, নির্দিষ্ট পাঠ পদ্ধতির মাধ্যমে চার বছরের সময়কালে। গবেষণার ফলাফল দেখায়, এই শিক্ষার্থীদের চিন্তার ক্ষমতা (এসডি .78) বৃদ্ধি পায় এবং এই প্রভাব দীর্ঘমেয়াদে অ্যাকাডেমিক সাফল্য বৃদ্ধিতে সহায়ক হয় (হু, প্রমুখ। ২০১০, পৃষ্ঠা ৫৫৪)। এটি সৃজনশীল প্রক্রিয়ায় বিচিত্র ও সঙ্কলিত চিন্তার ব্যবহার নির্দেশ করে এবং এই দুই ধরনের চিন্তা সৃজনশীলতায় গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করা হয়েছে (গোল্ডস্মিট, ২০১৬, পৃষ্ঠা ২)। এটি উচ্চ স্তরের চিন্তার প্রতিফলন এবং দীর্ঘমেয়াদী স্মৃতির সাথে সংশ্লিষ্ট। নকশা চিন্তন বিশেষভাবে শিক্ষার্থীদের উন্নয়নে সক্ষমতা প্রদর্শন করে।
== যুক্তি প্রদানের প্রক্রিয়া ==
=== যুক্তির স্তরসমূহ ===
মানসিক প্রক্রিয়া যা একজনকে যুক্তি তৈরি, বিশ্লেষণ ও মূল্যায়নে সক্ষম করে <ref name="horn">Hornikx, J., & Hahn, U. (2012). Reasoning and argumentation: Towards an integrated psychology of argumentation. Thinking & Reasoning, 18(3), 225-243. DOI: 10.1080/13546783.2012.674715.</ref>। এই স্তরগুলো এই অধ্যায়ে পরে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হবে।
{| class="wikitable"
|১. '''উৎপাদন'''
|কীভাবে কেউ একটি দৃষ্টিভঙ্গি, মতামত বা দাবির পক্ষে যুক্তি তৈরি করে।
|-
|২. '''বিশ্লেষণ'''
|প্রস্তাবিত যুক্তিগুলোর বৈধতা মূল্যায়ন।
|-
|৩. '''মূল্যায়ন'''
|একটি যুক্তির বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি অনুসন্ধান।
|}
== শিক্ষায় যুক্তি প্রদানের প্রভাব ==
যুক্তি প্রদান কেবল সমালোচনামূলক চিন্তা এর বিকাশকে প্রভাবিত করে না, বরং শিক্ষার অন্যান্য দিকেও প্রভাব ফেলে। উদাহরণস্বরূপ, একটি জুনিয়র হাই স্কুলের বিজ্ঞান শ্রেণিতে পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, শিক্ষার্থীরা যুক্তি প্রদানে অংশগ্রহণ করলে তারা তাদের পূর্বজ্ঞান ও অভিজ্ঞতার উপর নির্ভর করে <ref name="aufs">Aufschnaiter, C., Erduran, S., Osborne, J., & Simon, S. (2008). Arguing to learn and learning to argue: Case studies of how students' argumentation relates to their scientific knowledge. Journal of Research in Science Teaching, 45(1), 101-131. doi:10.1002/tea.20213</ref>। কেবল পূর্বজ্ঞান প্রয়োগই নয়, যুক্তি প্রদান শিক্ষার্থীদের জ্ঞানকে একত্রিত করতে এবং বিষয়টির উচ্চতর পর্যায়ে বোঝাপড়া বাড়াতে সাহায্য করে <ref name="aufs" />। এগুলো শিক্ষায় যুক্তি প্রদানের প্রভাবের কয়েকটি উদাহরণ মাত্র।
ভিডিও: শিক্ষায় যুক্তি: https://www.youtube.com/watch?v=YHm5xUZmCDg
= সমালোচনামূলক চিন্তা ও যুক্তির মধ্যে সম্পর্ক =
যুক্তি প্রদান ও সমালোচনামূলক চিন্তা শিক্ষাদানে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কযুক্ত বলে মনে হয়। অনেক গবেষণায় এই দুটি উপাদান একে অপরকে কিভাবে প্রভাবিত করে তা দেখানো হয়েছে। তথ্য উপাত্ত অনুযায়ী, যখন শিক্ষায় সমালোচনামূলক চিন্তা অন্তর্ভুক্ত করা হয়, তখন এটি শিক্ষার্থীদের যুক্তি প্রদানের ক্ষমতাকে প্রভাবিত করে <ref>Bensley, A., Crowe, D., Bernhardt, P., Buckner, C., & Allman, A. (2010). Teaching and assessing CT skills for argument analysis in psychology. Teaching of Psychology, 37(2), 91-96. doi:10.1080/00986281003626656</ref>। যেসব কার্যক্রমে সমালোচনামূলক চিন্তা এবং সৃজনশীল চিন্তা উভয়ের প্রয়োজন, সেগুলোকে যুক্তিকেন্দ্রিক হওয়া উচিত <ref>Glassner, A., & Schwarz, B. B. (2007). What stands and develops between creative and critical thinking? argumentation?. Thinking Skills and Creativity, 2(1), 10-18. doi:10.1016/j.tsc.2006.10.001</ref> এবং যুক্তি বিশ্লেষণ ও গল্প বলার মাধ্যমে সমালোচনামূলক চিন্তা উন্নত করা যায় <ref>Gold J., Holman D., & Thorpe R. (2002). The role of argument analysis and story telling in facilitating critical thinking. Management Learning, 33(3), 371-388. doi:10.1177/1350507602333005</ref>। অর্থাৎ, বলা যায় যে সমালোচনামূলক চিন্তা ও যুক্তি উভয়ই একে অপরের বিকাশকে প্রভাবিত করে এবং শিক্ষার ও জ্ঞানের অন্যান্য ক্ষেত্রেও এদের প্রভাব রয়েছে।
== সমালোচনামূলক চিন্তা কীভাবে যুক্তিকে উন্নত করে ==
সমালোচনামূলক চিন্তা এমন তথ্যের মূল্যায়নে সহায়তা করে যা একটি যুক্তি তৈরির জন্য প্রয়োজন। এটি প্রতিটি অবস্থানের বৈধতা যাচাইয়ে সাহায্য করে। এটি উৎসের বিশ্বাসযোগ্যতা মূল্যায়নে ব্যবহৃত হয় এবং বিষয়টি একাধিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বিশ্লেষণে সহায়তা করে।
সমালোচনামূলক চিন্তা এবং যুক্তির উপাদানগুলোর মধ্যে অনেক সাধারণ বৈশিষ্ট্য রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, একটি বিবৃতির পক্ষে ও বিপক্ষে প্রমাণ পর্যালোচনা করা এবং যেসব তথ্য সেই দাবিগুলোর ভিত্তি গঠন করে, সেগুলো পরীক্ষা করা — এ দুটি ক্ষেত্রই একটি সঠিক যুক্তি তৈরি এবং সমালোচনামূলক চিন্তার অংশ।
এই অংশে উল্লেখিত চারটি সমালোচনামূলক চিন্তা উপাদানের আলোকে সমালোচনামূলক চিন্তা কিভাবে যুক্তি প্রদানের ক্ষমতাকে প্রভাবিত করে, তা বিশ্লেষণ করা হবে। প্রথমত, ব্রুনিং প্রমুখ (২০১১) অনুসারে, জ্ঞানের উপাদান সমস্যার সমাধান প্রক্রিয়াকে সক্রিয়ভাবে প্রভাবিত করে <ref name="bruningrh">Bruning, R. H., Schraw, G. J., & Norby, M. M. (2011). Cognitive psychology and instruction (5th ed.) Pearson.</ref>। সুতরাং, শিক্ষার্থীদের যা নিয়ে তারা যুক্তি দিচ্ছে, সেই বিষয়ে যথাযথ জ্ঞানের ভিত্তি থাকা আবশ্যক। ভালোভাবে প্রতিষ্ঠিত তথ্য ব্যবহার করে নতুন তথ্যের বিশ্বাসযোগ্যতা বিশ্লেষণ করতে পারার ক্ষমতা সেই শিক্ষার্থীদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যারা তাদের যুক্তি প্রদানের দক্ষতা বাড়াতে চায়। দ্বিতীয় উপাদান হলো '''অনুমান'''। চেসেভার এবং সিমারি (২০০৭) তাদের যুক্তি নির্মাণ নিয়ে আলোচনায় যেমনটি উল্লেখ করেছেন, তথ্য থেকে নতুন সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর ক্ষেত্রে '''যুক্তিপূর্ণ অনুমান''' একটি অপরিহার্য উপাদান<ref>Chesñevar, I., & Simari, G. (2007). Modelling inference in argumentation through labelled deduction: Formalization and logical properties. Logica Universalis, 2007, Volume 1, Number 1, Page 93, 1(1), 93-124. doi:10.1007/s11787-006-0005-4</ref>
[[চিত্র:Reasoning.jpg|থাম্ব|উপসংহার ও অনুমান—উভয়ই সমালোচনামূলক চিন্তন এবং যুক্তিবিদ্যায় গুরুত্বপূর্ণ।]]
অর্থাৎ, পূর্বে প্রাপ্ত তথ্য থেকে সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর ক্ষমতা একটি যুক্তির উন্নয়ন এবং তা বিস্তারিতভাবে উপস্থাপনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। একইভাবে, '''অনুমানভিত্তিক চিন্তন'''। এটি সমালোচনামূলক চিন্তনের একটি অংশ, যুক্তির গঠনে গুরুত্বপূর্ণ। বার্নিং ও তার সহকর্মীদের মতে, বিদ্যমান তথ্য থেকে একটি সাধারণ সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতাসমালোচনামূলক চিন্তনপ্রক্রিয়ার একটি অপরিহার্য অংশ<ref name="bruningrh2" />। ওন্টান এবং প্লাজা (২০১৫) যুক্তি দেন যে, অনুমান যোগাযোগের মাধ্যমে যুক্তি গঠনে ব্যবহৃত হতে পারে। তদুপরি, একটি দলের প্রতিটি সদস্যের দেওয়া তথ্য একত্র করে সাধারণ সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর প্রক্রিয়া দেখায় যে, অনুমান কীভাবে যুক্তিতে পারস্পরিক সহযোগিতাকে ফলপ্রসূ করতে পারে<ref>Ontañón, S., & Plaza, E. (2015). Coordinated inductive learning using argumentation-based communication. Autonomous Agents and Multi-Agent Systems, 29(2), 266-304. doi:10.1007/s10458-014-9256-2</ref>। তাই এটি স্পষ্ট যেসমালোচনামূলক চিন্তনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে অনুমান যুক্তি এবং সহযোগিতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।সমালোচনামূলক চিন্তনের শেষ উপাদান। এটি সম্ভবত যুক্তির সাথে সবচেয়ে বেশি সম্পর্কযুক্ত, সেটি হলো '''মূল্যায়ন'''। বার্নিং ও তার সহকর্মীরা মূল্যায়নের উপাদান হিসেবে বিশ্লেষণ, বিচার এবং পরিমাপের কথা বলেন। এই তিনটি উপাদান একটি সফল যুক্তি গঠনের জন্য অপরিহার্য <ref name="bruningrh2" />। হর্নিক্স এবং হ্যান (২০১২) যুক্তি গঠনের তিনটি মূল উপাদানের একটি কাঠামো প্রদান করেন। এটি বার্নিং ও তার সহকর্মীদের উল্লেখিতসমালোচনামূলক চিন্তনের উপাদানের সঙ্গে গভীরভাবে সম্পর্কযুক্ত<ref name="horn2" />।
=== উৎপাদন, বিশ্লেষণ ও মূল্যায়ন ===
হর্নিক্স এবং হ্যান তাদের গবেষণায় যুক্তি গঠনের যে তিনটি দিকের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন, তা হলো '''উৎপাদন''', '''বিশ্লেষণ''' এবং '''মূল্যায়ন'''<ref name="horn2" />। যুক্তি উৎপাদনেসমালোচনামূলক চিন্তনের মূল উপাদানগুলো ব্যবহৃত হয়; এর মধ্যে থাকে মূল্যায়ন, বিশ্লেষণ, বিচার এবং একজন যে যুক্তির ওপর দৃঢ় অবস্থান নিতে চান, সেটির যথার্থতা নির্ণয়। যুক্তির বিশ্লেষণ এবংসমালোচনামূলক চিন্তনবিশ্লেষণ একসাথে চলে, কারণ একটি সফল এবং যথার্থভাবে সমর্থিত যুক্তি গঠনে তথ্য ও মতামতের সমালোচনামূলক বিশ্লেষণ আবশ্যক। একইভাবে, মূল্যায়নও যুক্তি বিশ্লেষণে ব্যবহৃত হয় কারণ এটিসমালোচনামূলক চিন্তনথেকে উদ্ভূত। তথ্যের উৎস এবং নির্ভরযোগ্যতা যাচাই একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটিতে কেউ তথ্যপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। সমালোচনামূলক চিন্তনের মূল্যায়নের চূড়ান্ত দিক হলো মেটাকগনিশন, অর্থাৎ নিজের চিন্তা নিয়ে চিন্তা করা বা নিজস্ব চিন্তাকে মনিটর করা <ref name="bruningrh2" />। নিজের চিন্তা পর্যবেক্ষণ এবং নেওয়া সিদ্ধান্তগুলোর যৌক্তিকতা বুঝে নেওয়া যুক্তি গঠনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। পিন্টু ও তার সহকর্মীদের গবেষণা অনুসারে, যুক্তি দেওয়ার ক্ষমতা এবং মেটাকগনিশনের মধ্যে একটি শক্তিশালী সম্পর্ক রয়েছে<ref>Pinto, M., Iliceto, P., & Melagno, S. (2012). Argumentative abilities in metacognition and in metalinguistics: A study on university students. European Journal of Psychology of Education, 27(1), 35-58. doi:10.1007/s10212-011-0064-7</ref>। অন্যভাবে বললে, একজন ব্যক্তি নিজের চিন্তা ও তার যথার্থতা নিয়ে যত বেশি ভাবতে পারেন, ততই তারা সুসংগঠিত যুক্তি প্রদান করতে সক্ষম হন। চিন্তাকে ভাষায় বা যুক্তিতে রূপান্তরের মাধ্যমে দেখা যায় যে,সমালোচনামূলক চিন্তনযুক্তি গঠনে ব্যাপক প্রভাব রাখে, যদিও কিছু গবেষণা এই সম্পর্কের পারস্পরিকতা নিয়ে বিভিন্ন দিকও তুলে ধরে।
প্রদত্ত গবেষণাগুলোর মাধ্যমে এটি স্পষ্ট হয় যে, জ্ঞ্যান, অনুমান, মূল্যায়ন এবং মেটাকগনিশনের মতো সমালোচনামূলক চিন্তন দক্ষতাগুলো যুক্তি গঠনের ওপর বড় প্রভাব ফেলে। তবে এর পাশাপাশি এটিও উঠে আসে যে, পাঠ্যক্রমেসমালোচনামূলক চিন্তনশেখানোর মাধ্যমে যুক্তি বিশ্লেষণ দক্ষতা বাড়ানো যায়। বেনসলি ও তার সহকর্মীদের (২০১০) একটি গবেষণা ইঙ্গিত দেয় যে, যখন কোনো কোর্সে সরাসরিসমালোচনামূলক চিন্তনশেখানো হয় এবং অন্য দলগুলোকে তা শেখানো না হয়, তখনসমালোচনামূলক চিন্তনশেখা দল যুক্তি বিশ্লেষণের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য উন্নতি করে<ref>Bensley, A., Crowe, D., Bernhardt, P., Buckner, C., & Allman, A. (2010). Teaching and assessing critical thinking skills for argument analysis in psychology. Teaching of Psychology, 37(2), 91-96. doi:10.1080/00986281003626656</ref>। যুক্তি গঠনে সমালোচনামূলক চিন্তন দক্ষতার ভূমিকা নিয়ে অনেক যুক্তি উপস্থাপন করা যায়, তবে এই গবেষণাটি দেখায় যে, সাধারণভাবেসমালোচনামূলক চিন্তনশেখানোর মাধ্যমেও শিক্ষার্থীদের যুক্তি বিশ্লেষণ ক্ষমতা বাড়ানো সম্ভব। যদি শিক্ষকরা শ্রেণিকক্ষে যুক্তি এবংসমালোচনামূলক চিন্তনউভয়ের বিকাশ চান, তাহলে এই বিষয়টি পরবর্তী অধ্যায়ের অংশে বিবেচনায় নেওয়া উচিত।
== কীভাবে যুক্তি গঠন সমালোচনামূলক চিন্তন উন্নত করে ==
যুক্তি গঠনসমালোচনামূলক চিন্তনপ্রক্রিয়ার একটি অংশ, এটি চিন্তার স্বচ্ছতা আনে এবং উপযুক্ত তথ্য বিশ্লেষণের ক্ষমতা বাড়ায়। এটি মেটাকগনিশনের অংশ, কারণ একজনকে নিজের ধারণাগুলোর মূল্যায়ন করতে হয়। সমালোচনামূলক চিন্তন দক্ষতা যেমন অনুমান ও/অথবা যুক্তিপূর্ণ সিদ্ধান্ত ব্যবহৃত হয় একটি সংগঠিত ও স্পষ্ট যুক্তি তৈরি করতে।
[[চিত্র:Toulmin_Argumentation_Example.gif|থাম্ব|Toulmin যুক্তি উদাহরণ—যুক্তি গঠনসমালোচনামূলক চিন্তনপ্রক্রিয়ার একটি অংশ, এটি চিন্তার স্বচ্ছতা আনে এবং উপযুক্ত তথ্য বিশ্লেষণের ক্ষমতা বাড়ায়। সমালোচনামূলক চিন্তন দক্ষতা যেমন অনুমান ও/অথবা যুক্তি ব্যবহৃত হয় একটি সংগঠিত ও স্পষ্ট যুক্তি তৈরি করতে।]]
গ্লাসনার এবং শোয়ার্জ (২০০৭) এর গবেষণায় দেখা যায়, যুক্তি গঠন সমালোচনামূলক এবং সৃজনশীল চিন্তার সংযোগস্থলে অবস্থান করে। তারা যুক্তি দেন যে, কিশোরদের ক্ষেত্রে যুক্তি গঠনের মাধ্যমে চিন্তন হয়। এটি একাধারে সমালোচনামূলক এবং সৃজনশীল। তারা বলেন, চিন্তাভাবনা সবসময়ই অন্যান্য দৃষ্টিভঙ্গি ও তথ্য দ্বারা প্রভাবিত হয়। নতুন তথ্য নিয়ে সৃজনশীল এবং সমালোচনামূলকভাবে চিন্তা করার ক্ষমতা যুক্তি গঠনের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত হয়<ref>Glassner, A., & Schwarz, B. B. (2007). What stands and develops between creative and critical thinking? argumentation?. Thinking Skills and Creativity, 2(1), 10-18. doi:10.1016/j.tsc.2006.10.001</ref>। নতুন তথ্য গ্রহণ, মূল্যায়ন ও তা নিয়ে উদার মনোভাব প্রকাশ—এই পারস্পরিক প্রক্রিয়াকে সমালোচনামূলক ও সৃজনশীল চিন্তার সম্মিলিত কার্যক্রম হিসেবে দেখা যায়। তবে একজন ব্যক্তি যখন নতুন তথ্যের ভিত্তিতে সিদ্ধান্তে পৌঁছায়, তখন সেই সিদ্ধান্তের যৌক্তিকতা নির্ণয় করাই মূল বিষয়। যুক্তি গঠন সমালোচনামূলক চিন্তন দক্ষতাকে বিকাশে সহায়তা করে, এটি স্পষ্ট।
যদিও এটি সত্য যেসমালোচনামূলক চিন্তনযুক্তি গঠনে সরাসরি প্রভাব ফেলে, এই সম্পর্ককে দ্বিমুখী হিসেবেও দেখা যায়। এখানে যুক্তি শেখানো সমালোচনামূলক চিন্তন দক্ষতা তৈরি করে। গোল্ড ও তার সহকর্মীদের একটি গবেষণায় দেখা যায়, যুক্তি বিশ্লেষণ ও গল্প বলার মাধ্যমে সমালোচনামূলক চিন্তন দক্ষতা গড়ে তোলা যায়<ref>Gold J., Holman D., & Thorpe R. (2002). The role of argument analysis and story telling in facilitating critical thinking. Management Learning, 33(3), 371-388. doi:10.1177/1350507602333005</ref>। এই গবেষণাটি প্রমাণ করে যে, যুক্তি বিশ্লেষণ এবং গল্প বলার প্রক্রিয়া কেবল শিক্ষার্থীদের জন্য নয়, বরং প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রেও উপকারী। এই গবেষণায় অংশগ্রহণকারী ছিলেন অভিজ্ঞ ম্যানেজারগণ। গবেষণায়সমালোচনামূলক চিন্তনের চারটি দক্ষতা চিহ্নিত করা হয়েছে যেগুলো যুক্তি বিশ্লেষণ ও গল্প বলার মাধ্যমে উন্নত হতে পারে: বাগ্মিতার সমালোচনা, ঐতিহ্য, কর্তৃত্ব এবং জ্ঞান। এই চারটি দক্ষতা সাধারণত উচ্চবিদ্যালয়ে শেখানো সমালোচনামূলক চিন্তন দক্ষতার চেয়ে গভীরতর, এবং এগুলোর বিকাশ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যুক্তি গঠনসমালোচনামূলক চিন্তনকে এমনভাবে প্রভাবিত করতে পারে। এটি ব্যক্তিকে নিজের মূল্যবোধ ও বিশ্বাস নিয়ে আরও গভীরভাবে চিন্তা করতে সক্ষম করে এবং নতুন তথ্য পেলে তা পুনর্মূল্যায়ন করার সুযোগ দেয়।
উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য যুক্তি গঠনসমালোচনামূলক চিন্তনএবং সৃজনশীল চিন্তার উভয় ক্ষেত্রেই উপকারী। ডেমির এবং ইসলেইন (২০১৫) এর গবেষণায় দেখা যায়, নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে বিজ্ঞান শিক্ষায় যুক্তিভিত্তিক পদ্ধতি প্রয়োগ করলে উভয় ধরনের চিন্তার দক্ষতা বৃদ্ধি পায়<ref>Demir, B., & İsleyen, T. (2015). The effects of argumentation based science learning approach on creative thinking skills of students. Educational Research Quarterly, 39(1), 49-82.</ref>। শিক্ষার্থীরা যখন যুক্তি গঠনের মাধ্যমেসমালোচনামূলক চিন্তনএবং সৃজনশীল চিন্তার বিকাশ ঘটাতে পারে, তখন এটি অত্যন্ত ইতিবাচক ফল দেয়। যেহেতু আগেই বলা হয়েছে যে, সৃজনশীল এবং সমালোচনামূলক চিন্তন দক্ষতা যুক্তির মাধ্যমে চিন্তা করে উপসংহারে পৌঁছায়, তাই শ্রেণিকক্ষে যুক্তি-নির্ভর পাঠদান উভয় ধরনের দক্ষতাই বৃদ্ধি করে। সারসংক্ষেপে বলা যায়, যুক্তি গঠন এবংসমালোচনামূলক চিন্তনএর মধ্যে একটি দৃঢ় সম্পর্ক রয়েছে, এবংসমালোচনামূলক চিন্তনউপশ্রেণির অনেক দক্ষতার সাথেই এদের সম্পর্ক আছে। এই দুটি ধারণার সুনির্দিষ্ট পাঠদান একে অপরের বিকাশে সহায়ক এবং পরিপূরক বলেই প্রতীয়মান। এই অধ্যায়ের পরবর্তী অংশে এই বিষয়গুলো পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্তির উপযোগিতা এবং কীভাবে তারা যৌক্তিক চিন্তন ও জীবনের জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা বৃদ্ধিতে সহায়ক—তা আলোচনা করা হবে।
= যুক্তি ও সমালোচনামূলক চিন্তার পাঠদান =
[[চিত্র:HUJI_Election_Debate_(8361985738).jpg|থাম্ব|বিতর্ক হচ্ছে যুক্তি ওসমালোচনামূলক চিন্তনের একটি ব্যবহারিক প্রয়োগ]]
== শিক্ষণ কৌশল ==
সমালোচনামূলক চিন্তনশেখানোর কার্যকর পদ্ধতি হলো চিন্তার দক্ষতাগুলোকে একটি পরিস্কার এবং ধারাবাহিক ধাপে বিন্যস্ত করা। এই ধাপগুলো শিক্ষার্থীদের তাদের নিজস্ব চিন্তন পদ্ধতি সম্পর্কে সচেতন করে এবং বাস্তব জীবনে তা প্রয়োগের উপযোগিতা শেখায়। যুক্তিপূর্ণ পদ্ধতিতে। এখানে শিক্ষার্থীরা বিস্তৃত ধারণা থেকে শুরু করে নির্দিষ্ট কাজের দিকে অগ্রসর হয়,সমালোচনামূলক চিন্তনের মাধ্যমে পূর্বে জানা কিছু থেকে নতুন কিছু তৈরি করতে পারে।সমালোচনামূলক চিন্তনের চেতনায়, শিক্ষার্থীর নিজের দক্ষতা সম্পর্কে সচেতনতা তাদের শিক্ষায় একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের শুধু ফলাফলের ওপর মনোযোগ না দিয়ে, বরং লক্ষ্য অর্জনের পেছনের চিন্তন প্রক্রিয়া সম্পর্কে ভাবতে উৎসাহিত করা উচিত। এই ধরণের আত্মমূল্যায়নের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা যুক্তির মতো কাজের জন্য প্রয়োজনীয় চিন্তার দক্ষতা সম্পর্কে আরও সচেতন হয়ে উঠতে পারে।
সমালোচনামূলক চিন্তন এবং যুক্তি প্রদানের শিক্ষা দেওয়ার অর্থ হলো প্রথমেই সমালোচনামূলক চিন্তন দক্ষতা ব্যবহারের প্রতি মনোযোগ দেওয়া। সমালোচনামূলক চিন্তা শেখানোর জন্য একটি পরিকল্পনা তৈরির সময়, একজনকে বিভিন্ন পদ্ধতি মূল্যায়ন ও বিশ্লেষণ করে তথ্যভিত্তিক সিদ্ধান্ত নিতে হয় যে কোনটি তার শ্রেণির জন্য সবচেয়ে উপযোগী হবে। সমালোচনামূলক চিন্তা শেখানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের পন্থা রয়েছে। ''বর্ণনামূলক মডেলগুলো'' বোঝায় কীভাবে "ভালো" চিন্তাভাবনা কাজ করে। এটি বিশেষভাবে মনোযোগ দেয় এমন চিন্তন কৌশলের উপর, যেমন হিউরিস্টিক্স যা তথ্য মূল্যায়ন ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে সাহায্য করে। অন্যদিকে, ''নির্দেশনামূলক মডেলগুলো'' বোঝায় কী হওয়া উচিত একটি ভালো চিন্তার ধরণ। এক অর্থে, এই মডেলগুলো একটি প্রোটোটাইপ বা “নির্দেশনা” দেয় ভালো চিন্তা কী হওয়া উচিত। এই পদ্ধতিটি তুলনামূলকভাবে কম প্রয়োগযোগ্য এবং উচ্চতর স্তরের চিন্তাভাবনার জন্য একটি উচ্চ মানদণ্ড স্থাপন করে। যেকোনো পদ্ধতি নির্বাচন করার আগে, একজন শিক্ষককে অবশ্যই নির্ধারণ করতে হবে তিনি শিক্ষার্থীদের কোন নির্দিষ্ট ধরণের সমালোচনামূলক চিন্তন দক্ষতা শেখাতে চান। এই প্রক্রিয়ায় শিক্ষার্থীদের বয়স, কর্মদক্ষতা এবং জ্ঞানীয় ক্ষমতা বিবেচনা করে এমন একটি কর্মসূচি তৈরি করতে হয় যা বেশিরভাগ, যদি না হয় সব, শিক্ষার্থীদের উপকারে আসে। একজন শিক্ষকের জন্য শেষ যে বিষয়ে বিবেচনা করা উচিত, তা হলো '''সরাসরি''' নাকি '''পরোক্ষ পদ্ধতিতে''' সমালোচনামূলক চিন্তন শেখানো হবে। ''সরাসরি নির্দেশনা'' বোঝায় সমালোচনামূলক চিন্তন দক্ষতার স্পষ্ট শিক্ষা যা নিয়ম এবং ধাপগুলো জোর দিয়ে শেখায়। এটি সবচেয়ে কার্যকরী হয় যখন সমস্যার সমাধান সীমিত বা সহজ হয়। বিপরীতে, ''পরোক্ষ নির্দেশনা'' হলো শিক্ষার্থী-কেন্দ্রিক শিক্ষা পদ্ধতি যা শিক্ষার্থীর নিজস্ব চিন্তাধারা গঠনের উপর জোর দেয়। এটি সবচেয়ে কার্যকর যখন সমস্যা অনির্ধারিত, অস্পষ্ট বা ব্যাখ্যার ওপর নির্ভরশীল হয়, যেমন নৈতিক বা নীতিশাস্ত্রভিত্তিক সিদ্ধান্ত <ref name="bruningrh3" />।
পরোক্ষ সমালোচনামূলক চিন্তন শেখানোর একটি উদাহরণ হলো সাহিত্য পর্যালোচনা লেখার প্রক্রিয়া। চ্যান্ডলার ও ডেডম্যান-এর মতে, সাহিত্য পর্যালোচনার জন্য তথ্য সংগ্রহ, বিশ্লেষণ এবং ফলাফল সংক্ষেপে উপস্থাপন করার দক্ষতা অর্জন সমালোচনামূলক চিন্তা চর্চারই একটি অংশ। একটি শিক্ষণ নোটে, তারা একটি বিএসডব্লিউ (ব্যাচেলর অব সোশ্যাল ওয়ার্ক) প্রোগ্রাম বিশ্লেষণ করেন যা স্নাতক শিক্ষার্থীদের মধ্যে সমালোচনামূলক চিন্তাকে উন্নত করতে চেয়েছিল। তারা নির্দিষ্টভাবে বলেন, সাহিত্য পর্যালোচনা তৈরির মতো ব্যবহারিক লেখার অ্যাসাইনমেন্ট শিক্ষার্থীদের পুনর্বিবেচনা এবং প্রতিফলনের সাথে যুক্ত করতে সাহায্য করে এবং তাদের চিন্তার পরিধি বাড়িয়ে বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি বিশ্লেষণের সুযোগ দেয়। তারা দেখতে পান, যখন এই অ্যাসাইনমেন্টকে একটি সমালোচনামূলক পর্যালোচক হিসেবে শিক্ষার্থীদের বিকাশের একটি হাতিয়ার হিসেবে উপস্থাপন করা হয়, তখন শিক্ষার্থীরা এটিকে শুধুমাত্র কোর্স উপাদানের সারাংশ হিসেবে নয় বরং সমালোচনামূলক পাঠ ও লেখন দক্ষতা উন্নয়নের সুযোগ হিসেবেও দেখেছে। আলোচনার সময় প্রশ্নের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের তাদের প্রবন্ধের উৎসের কর্তৃত্ব ও বিশ্বাসযোগ্যতা বিশ্লেষণে সাহায্য করা হয়। শিক্ষার্থীরা তাদের বিষয়ে আরও প্রমাণ সংগ্রহে সচেষ্ট হয়। বিএসডব্লিউ প্রোগ্রামের শেষে শিক্ষার্থীরা সফলভাবে সুচিন্তিত সাহিত্য পর্যালোচনা তৈরি করে <ref>Chandler, S. & Dedman, D.E. (2012). Writing a Literature Review: An Essential Component of Critical Thinking. The Journal of Baccalaureate Social Work, 17. 160-165.</ref>। এই প্রোগ্রামটি সমালোচনামূলক চিন্তন দক্ষতার নিঃশব্দ শিক্ষা প্রদান করে। এখানে শিক্ষকের সাথে সংলাপ এবং সহপাঠী অংশগ্রহণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এখানে নির্দিষ্ট দক্ষতা বা ধাপ স্পষ্টভাবে বলা হয় না, বরং শিক্ষার্থীদের একটি অ্যাসাইনমেন্টের মাধ্যমে সমালোচনামূলক চিন্তা অনুশীলনে নিয়ে যাওয়া হয়। যখন শিক্ষার্থীরা অ্যাসাইনমেন্টে কাজ করে, তখন তাদের যুক্তি, বিশ্লেষণ এবং অনুমানমূলক দক্ষতা ব্যবহার করতে হয় যাতে তারা তাদের বিষয় সংক্রান্ত প্রমাণগুলোকে সংহত করে সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারে। অ্যাসাইনমেন্ট ভিত্তিক সমালোচনামূলক চিন্তা দক্ষতার ব্যবহার শিক্ষার্থীদের মধ্যে পরোক্ষ নির্দেশনার মাধ্যমে এই দক্ষতা গড়ে তোলে।
[[চিত্র:False_dichotomy_public_transport.png|থাম্ব|যুক্তির মানচিত্র একটি যুক্তি উপস্থাপনের দৃশ্যায়ন]]
যুক্তির মানচিত্র হলো যুক্তি উপস্থাপনের একটি ভিজ্যুয়াল উপায়। নিচে যুক্তির মানচিত্র তৈরির সফটওয়্যারগুলোর লিংক দেওয়া হলো:
https://www.rationaleonline.com/
http://www.argunet.org/editor/
http://debategraph.org/planet
https://www.truthmapping.com/map/1021/#s7164
== সমালোচনামূলক চিন্তনের জন্য দক্ষতা ভিত্তিক প্রোগ্রাম ==
এই প্রোগ্রামগুলো বিকল্প শিক্ষণ পদ্ধতির মাধ্যমে সমালোচনামূলক চিন্তন দক্ষতা গঠনে সহায়তা করে, যেমন সমস্যা সমাধান। সাধারণত এগুলো বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের জন্য তৈরি করা হয়, যেমন শেখার অক্ষমতা বা জ্ঞানীয় ঘাটতিসম্পন্ন শিক্ষার্থীরা।
=== CoRT চিন্তন সামগ্রী ===
CoRT (কগনিটিভ রিসার্চ ট্রাস্ট) প্রোগ্রামটি ডি বোনো-র ধারণার ওপর ভিত্তি করে তৈরি। এখানে বলা হয়েছে চিন্তন দক্ষতাকে স্কুলে একটি বিষয় হিসেবে শেখানো উচিত <ref name="alf">Al-Faoury, O.H., & Khwaileh, F. (2014). The Effect of Teaching CoRT Program No. (4) Entitles “Creativity” on the Gifted Learners’ Writing in Ein El-Basha Center for Gifted Students. Theory and Practice in Language Studies, 4(11), 2249-2257. doi:10.4304/tpls.4.11.2249-2257.</ref>। চিন্তন সামগ্রী মূলত চিন্তন দক্ষতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে তৈরি। এই দক্ষতা ভিত্তিক প্রোগ্রাম গেস্টাল্ট পদ্ধতির অনুসরণ করে এবং সমস্যা সমাধানে পারসেপচুয়াল ফ্যাক্টরের উপর গুরুত্ব দেয়। এটি সাধারণত দুই বছরের একটি কোর্স যা বিভিন্ন বয়সের শিশুদের উপযোগী। পাঠগুলো সৃজনশীল চিন্তা, সমস্যা সমাধান ও আন্তঃব্যক্তিক দক্ষতা বিকাশে সহায়তা করে। সামগ্রীগুলো ছয়টি ইউনিটে বিভক্ত এবং পরিকল্পনা, বিশ্লেষণ, তুলনা, নির্বাচন, মূল্যায়ন ও বিকল্প ধারণা তৈরির মতো বিষয় অন্তর্ভুক্ত করে। একটি সাধারণ ইউনিটে লিফলেট থাকে যা একটি নির্দিষ্ট বিষয় কাভার করে, এরপর অনুশীলনের জন্য উদাহরণ দেওয়া হয়। এই লিফলেটগুলো সাধারণত দলীয় কার্যক্রমে বেশি কার্যকর। ইউনিটগুলোর মূল লক্ষ্য হলো চিন্তন দক্ষতা অনুশীলন করানো, তাই পাঠের অধিকাংশ সময় এই বিষয়গুলোর চর্চার জন্য বরাদ্দ থাকে <ref name="bruningrh3" />।
এই স্বতন্ত্র প্রোগ্রামের উপর করা অধিকাংশ গবেষণা সৃজনশীল চিন্তা বিকাশের উপর কেন্দ্রীভূত, তবে এটি এই অধ্যায়ে উল্লিখিত অন্যান্য প্রোগ্রামগুলোর তুলনায় তুলনামূলকভাবে বেশি বিস্তৃত। CoRT প্রোগ্রামটি মেধাবী শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। আল-ফাউরি ও খোয়াইলেহ (২০১৪) CoRT প্রোগ্রামটি মেধাবী শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল লেখার উপর কী ধরনের প্রভাব ফেলে তা মূল্যায়ন করেন। শিক্ষার্থীদের একটি প্রাক-পরীক্ষা দেওয়া হয় যেখানে সৃজনশীল ছোটগল্প লেখার ক্ষেত্রে প্রবাহ, নমনীয়তা ও মৌলিকতা মূল্যায়ন করা হয় <ref name="alf" />। পরীক্ষামূলক গ্রুপের শিক্ষার্থীরা তিন মাসে মোট ২০টি CoRT পাঠ গ্রহণ করে। এর মধ্যে ১০টি ছিল CoRT 1 “Breadth” এবং ১০টি CoRT 4 “Crea tivity” থেকে, অপরদিকে নিয়ন্ত্রণ গ্রুপকে ঐতিহ্যবাহী সৃজনশীল লেখার পাঠ দেওয়া হয়। পরবর্তী পরীক্ষা একই মানদণ্ডে নেওয়া হয় এবং ফলাফল প্রাক-পরীক্ষা ও পরবর্তী পরীক্ষার স্কোরের তুলনা করে বিশ্লেষণ করা হয়। গবেষকেরা দেখতে পান, পরীক্ষামূলক গ্রুপের প্রবাহ, নমনীয়তা ও মৌলিকতা স্কোরে একটি পরিসংখ্যানগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ উন্নতি হয়েছে। এই তিনটি উপাদানেই পরীক্ষামূলক গ্রুপের গড় স্কোর নিয়ন্ত্রণ গ্রুপের তুলনায় বেশি ছিল <ref name="alf" />। এই ফলাফলগুলো নির্দেশ করে যে CoRT প্রোগ্রামটি রূপক, উপমা ইত্যাদির মতো অলংকারশাস্ত্রীয় কৌশল ব্যবহারের মাধ্যমে, সংলাপের মাধ্যমে চরিত্র বিকাশ এবং জটিল গঠন নিয়ন্ত্রণে শিক্ষার্থীদের সহায়তা করে <ref name="alf" />। লেখার নমনীয়তা ও প্রবাহ যুক্তি প্রদর্শন এবং সমালোচনামূলক চিন্তার চর্চার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। ধারণা উপস্থাপন ও পরিবর্তনের ক্ষমতা বিকাশের মাধ্যমে, শিক্ষার্থীরা এই দক্ষতাগুলো সৃজনশীল লেখালেখি থেকে উচ্চতর জ্ঞানীয় প্রক্রিয়ায়—যেমন সমালোচনামূলক চিন্তা ও যুক্তি প্রদান—পরিবর্তন করতে সক্ষম হয়।
=== ফয়ের্স্টাইন ইনস্ট্রুমেন্টাল এনরিচমেন্ট প্রোগ্রাম (এফআইই) ===
এফআইই একটি বিশেষায়িত প্রোগ্রাম যা মধ্যস্থতাভিত্তিক শিক্ষার অভিজ্ঞতার উপর ভিত্তি করে গড়ে তোলা হয়েছে এবং এর উদ্দেশ্য হলো সমালোচনামূলক চিন্তা ও সমস্যা সমাধান দক্ষতা গড়ে তোলা। মধ্যস্থতা হলো এমন এক শিক্ষণ পদ্ধতি যা শিক্ষার্থী ও মধ্যস্থতাকারীর মধ্যে পারস্পরিক সংলাপের মাধ্যমে ঘটে। ভাইগোৎস্কির “স্ক্যাফোল্ডিং”-এর মতো, এটি শিক্ষার্থী-কেন্দ্রিক এবং চারটি মূল উপাদানের উপর ভিত্তি করে: উদ্দেশ্যমূলকতা, পারস্পরিকতা, পরিপার্শ্বে প্রসারণ এবং অর্থবোধকতা <ref name="kozulin">Kozulin, A. & Presseisen, B.Z. (1995). Mediated Learning Experience and Psychological Tools: Vygotsky’s and Feuerstein’s Perspective in a Study of Student Learning. Educational Psychologist, 30(2), 67-75.</ref>। উদ্দেশ্যমূলকতা বোঝায় মধ্যস্থতা ও সাধারণ পারস্পরিক যোগাযোগের মধ্যে পার্থক্য। এখানে শিক্ষার্থী ও মধ্যস্থতাকারীর মধ্যে একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য থাকে। পারস্পরিকতা বোঝায় শিক্ষার্থী-কেন্দ্রিক মনোভাব। এখানে শিক্ষার্থীর প্রতিক্রিয়াই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, শিক্ষাবিষয়ক ফলাফল নয়। পরিপার্শ্বে প্রসারণ বোঝায় বর্তমান পাঠ ছাড়িয়ে নতুন সংযোগ তৈরি ও প্রয়োগের উৎসাহ প্রদান। অর্থবোধকতা বোঝায় শিক্ষার্থী ও মধ্যস্থতাকারী পরিষ্কারভাবে “কেন” ও “কিসের জন্য” প্রশ্নের উত্তর নির্ধারণ করে। এটি শিক্ষার সময় সংলাপ বাড়ায় <ref name="kozulin" /><ref>Presseisen, B.Z. & Kozulin, A. (1992). Mediated Learning – The Contributions of Vygotsky and Feuerstein in Theory and Practice.</ref>
এই প্রোগ্রামে ব্যবহৃত “ইনস্ট্রুমেন্টগুলো” হলো পেন্সিল-পেপার ভিত্তিক অনুশীলন যা শিক্ষার্থীদের উচ্চতর চিন্তন কৌশল অন্তর্নিহিতভাবে অনুশীলনে সহায়তা করে। এই ইনস্ট্রুমেন্টগুলো বিশ্লেষণাত্মক উপলব্ধি, স্থানগত সংগঠন, শ্রেণীবিন্যাস, তুলনা এবং অন্যান্য অনেক বিষয়ে কাজ করে। বিভিন্ন দেশে এই প্রোগ্রামের প্রয়োগ পদ্ধতি ভিন্ন এবং লক্ষ্যকৃত জনগোষ্ঠীর উপর নির্ভরশীল। একটি সাধারণ প্রোগ্রামে ১৪টি ইউনিট থাকে এবং প্রতি সপ্তাহে কয়েক ঘণ্টার জন্য ৩–৪টি সেশন পরিচালনা করা হয়। এটি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত IE কর্মী ও শিক্ষকরা পরিচালনা করে <ref name="kozulin" />।
=== ফলপ্রসূ চিন্তন কর্মসূচি ===
ফলপ্রসূ চিন্তন কর্মসূচির লক্ষ্য হলো পরিকল্পনা করার দক্ষতা, অনুমান তৈরি ও যাচাই এবং নতুন ধারণা উদ্ভাবন। এটি ১৫টি পাঠে বিভক্ত যা একটি সেমিস্টারে সম্পন্ন করার জন্য তৈরি। প্রোগ্রামের লক্ষ্য গোষ্ঠী হলো উচ্চস্তরের প্রাথমিক শ্রেণির শিক্ষার্থীরা। পাঠগুলো একটি গল্পনির্ভর বইয়ের মাধ্যমে পড়ানো হয়। এখানে শিক্ষার্থীরা একজন গোয়েন্দার ভূমিকায় কাজ করে এবং রহস্য সমাধান করে। একটি নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য শিক্ষার্থীদের একটি কাঠামোবদ্ধ ধাপ অনুসরণ করতে হয় <ref>Schuler, G. (1974). The Effectiveness of the Productive Thinking Program. Paper presented at the Annual Meeting of the American Educational Research Association. Retrieved from: http://www.eric.ed.gov/contentdelivery/servlet/ERICServlet?accno=ED103479.</ref>। পাঠ শেষে অতিরিক্ত সমস্যা দেওয়া হয় যাতে শিক্ষার্থীরা শিখিত দক্ষতা প্রয়োগ করে অনুশীলন করতে পারে <ref name="bruningrh3" />।
=== IDEAL সমস্যা সমাধান পদ্ধতি ===
IDEAL সমস্যা সমাধান পদ্ধতি ৫টি ধাপের একটি কাঠামো যা IDEAL নামের সংক্ষিপ্তরূপে উপস্থাপিত। প্রথমে, (I)dentify: সমস্যা শনাক্ত করা, অর্থাৎ সমস্যাটি কী তা বুঝতে হবে। দ্বিতীয় ধাপ, (D)efine: সমস্যা সংজ্ঞায়িত করা। এখানে পুরো সমস্যাটি পরিষ্কারভাবে বোঝা জরুরি। তৃতীয় ধাপ, (E)xplore: বিকল্পগুলো অন্বেষণ করা, অর্থাৎ সম্ভাব্য সমাধানগুলো বিশ্লেষণ করা। চতুর্থ ধাপ, (A)cting: একটি পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করা। শেষ ধাপ, (L)ooking: ফলাফল পর্যবেক্ষণ করা, অর্থাৎ গৃহীত সমাধানের প্রভাব বিশ্লেষণ করা। IDEAL একটি নমনীয় কাঠামো যা বিভিন্ন বয়স ও দক্ষতার শিক্ষার্থীদের জন্য উপযোগী এবং বিভিন্ন বিষয়ে যেমন রচনা বা পদার্থবিজ্ঞানে প্রয়োগ করা যায় <ref name="bruningrh3" />।
== যুক্তিবাদের নির্দেশনা ==
যুক্তিবাদ নিয়ে গবেষণা শিক্ষা ক্ষেত্রে তুলনামূলকভাবে নতুন একটি ক্ষেত্র হলেও, এটি প্রায় সব ধরনের শিক্ষাব্যবস্থার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং কলেজগুলো এখন শ্রেণিকক্ষে যুক্তিবাদের ব্যবহারে গুরুত্ব দিচ্ছে, কারণ এটি বিশ্বব্যাপী পেশাগত ও শিক্ষামূলক পরিবেশে যোগাযোগ ও বিতর্কের সবচেয়ে কার্যকর উপায় হিসেবে দেখা হচ্ছে।<ref name="cro">Crowell, A., & Kuhn, D. (2014). Developing dialogic argumentation skills: A 3-year intervention study. Journal of Cognition and Development, 15(2), 363-381. doi:10.1080/15248372.2012.725187</ref> ক্রোয়েল এবং কুহন কর্তৃক পরিচালিত একটি দীর্ঘমেয়াদী গবেষণায় দেখা গেছে, শিক্ষার্থীদের যুক্তিবাদী দক্ষতা অর্জনে সবচেয়ে কার্যকর উপায় হলো শ্রেণিকক্ষে ও বাড়ির কাজ হিসেবে ধারাবাহিক ও ঘনঘন যুক্তিবাদের প্রয়োগ।<ref name="cro" /> এই গবেষণার সময় শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন পদ্ধতির মাধ্যমে যুক্তিবাদী দক্ষতা অর্জন করেছে। বন্ধুদের সঙ্গে সহযোগিতা, কম্পিউটার ব্যবহার, আত্মপ্রত্যয়মূলক কার্যকলাপ, ব্যক্তিগত প্রবন্ধ এবং ছোট দলের কাজ—এই সব কৌশল যুক্তিবাদ শেখানোর ক্ষেত্রে মূল্যবান প্রমাণিত হয়েছে, যদিও কোনটি সবচেয়ে কার্যকর তা স্পষ্ট নয়।<ref name="cro" /> গবেষণার তথ্য থেকে দেখা যায়, শিক্ষার্থীরা যেখান থেকে শুরু করেছিল, তাদের আগের যুক্তিবাদী পরীক্ষার ফলাফল যাই হোক না কেন, সকলেই প্রায় সমান মাত্রার যুক্তিবাদী দক্ষতা অর্জন করেছে। এটি প্রমাণ করে, এমনকি যাদের প্রথম দিকে যুক্তিবাদী দক্ষতা নেই বলেই মনে হয়েছে, তারাও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সেই দক্ষতা অর্জন করতে পারে এবং হয়তো তাদের চেয়েও ভালো করতে পারে যারা শুরুতে বেশি নম্বর পেয়েছিল।<ref name="cro" />
=== সংলাপ ও যুক্তিবাদ ===
ক্রোয়েল এবং কুহন (২০১১) এর গবেষণায় দেখা যায়, যৌথ সংলাপভিত্তিক কার্যকলাপ যুক্তিবাদী দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য কার্যকর হস্তক্ষেপ হতে পারে। তারা একটি দীর্ঘমেয়াদী হস্তক্ষেপ চালু করেন। সেখানে একটি মধ্যবিদ্যালয়ের দর্শনের ক্লাসে বিষয়ভিত্তিক চক্র ব্যবহার করে যুক্তিবাদ শেখানো হয়<ref name="crowell">Crowell, A., & Kuhn, D. (2011). Dialogic Argumentation as a Vehicle for Developing Young Adolescents’ Thinking. Psychological Science, 22(4), 545-552. DOI: 10.1177/0956797611402512.</ref>। শিক্ষার্থীরা সপ্তাহে দুই দিন, প্রতি ক্লাসে ৫০ মিনিট করে তিন বছর ধরে ক্লাস করে। এই হস্তক্ষেপ ছিল তিন ধাপে: প্রথমে শিক্ষার্থীদের ছোট ছোট দলে ভাগ করে তাদের যুক্তির একদিকে রাখার মাধ্যমে ধারণা তৈরি করা হয় (“পক্ষে” এবং “বিপক্ষে” দল)। এরপর প্রতিপক্ষের সঙ্গে বৈদ্যুতিক মাধ্যমে যুক্তি তর্কে যুক্ত হয়। সবশেষে পুরো শ্রেণিকক্ষে একত্রে বিতর্কে অংশ নেয়। এই তিনটি ধাপ যথাক্রমে প্রিগেম, গেম এবং এন্ডগেম নামে পরিচিত। হস্তক্ষেপ শেষে শিক্ষার্থীদের একটি প্রবন্ধ লিখতে বলা হয় যার মাধ্যমে তাদের যুক্তিবাদী দক্ষতা মূল্যায়ন করা হয়<ref name="crowell" />। ফলাফল দেখায় যে হস্তক্ষেপপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের মধ্যে দ্বিমুখী দৃষ্টিভঙ্গি ভিত্তিক যুক্তি তৈরির হার বৃদ্ধি পেয়েছে। এই ধরনের যুক্তি প্রদানের জন্য একজনকে নিজের বিপরীত অবস্থান নিতে হয় এবং সেই অনুযায়ী যুক্তি সাজাতে হয়। এই ধরনের যুক্তি উচ্চতর মানসিক প্রক্রিয়া নির্দেশ করে যা বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গিকে বিশ্লেষণ করার সামর্থ্য চায়। এই পরিবর্তনগুলি দ্বিতীয় বছর পর্যন্ত দৃশ্যমান ছিল না এবং তৃতীয় বছরেই তা পরিসংখ্যানগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে প্রমাণিত হয়। এটি নির্দেশ করে যুক্তিবাদী দক্ষতা অন্যান্য নিম্নস্তরের মানসিক দক্ষতার তুলনায় বেশি সময় নিয়ে গড়ে ওঠে<ref name="crowell" />। এই স্বতন্ত্র হস্তক্ষেপ প্রমাণ করে যে সংলাপভিত্তিক কার্যকলাপের সহযোগিতামূলক দিকটি যুক্তিবাদের জন্য প্রয়োজনীয় মানসিক প্রবণতা গঠনে সহায়তা করে<ref name="crowell" />।
[[চিত্র:Dynamic_roles_during_dialogue.jpg|থাম্ব|যুক্তিবাদ বিকাশে সংলাপভিত্তিক কার্যকলাপ গুরুত্বপূর্ণ। পারিবারিক থেরাপিস্ট ডেভিড ক্যান্টর সংলাপের সময় অংশগ্রহণকারীরা যে চারটি ভিন্ন ভিন্ন ভূমিকা গ্রহণ করেন, তা চিত্রিত করেছেন।]]
আরও গবেষণায় দেখা যায়, সহযোগিতামূলক আলোচনা ও যুক্তিবাদী সংলাপের মাধ্যমে শিক্ষা প্রদান একটি কার্যকর কৌশল<ref name="macagno2" />। যুক্তিবাদের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ধারণা এবং এই ধারণাগুলোর পেছনের মৌলিক চিন্তাধারা অর্জন করতে পারে। যুক্তি তৈরি করতে গেলে শিক্ষার্থীদের গ্রহণযোগ্য সংজ্ঞা বা দাবির মাধ্যমে একটি যুক্তির কাঠামো গড়ে তুলতে হয়। যুক্তিবাদ শিক্ষার্থীদের ভুল ধারণা স্পষ্ট করতে সাহায্য করে এবং তাদের পূর্বজ্ঞান ব্যাখ্যা ও সম্প্রসারণের সুযোগ দেয়। যুক্তিবাদের দুটি প্রধান দিক—সংলাপ এবং কাঠামো—প্রায়শই যুক্তিবাদী দক্ষতার মূল্যায়নে ব্যবহৃত হয়<ref name="macagno2" />। বিশেষ করে শিক্ষার্থী ও বিশেষজ্ঞদের মধ্যকার সংলাপের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের নির্দিষ্ট যুক্তি ও পাল্টা যুক্তি দিতে উৎসাহিত করা যায়। এটি বিশেষজ্ঞের সংলাপগত সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করে<ref name="macagno2" />। এই সহায়ক কাঠামো শিক্ষার্থীকে গভীরভাবে বিশ্লেষণ করতে সহায়তা করে।
যখন শিক্ষার্থী-শিক্ষার্থী এবং শিক্ষার্থী-বিশেষজ্ঞ সংলাপের মধ্যে যুক্তিবাদী আচরণের কনটেন্ট ও কার্যকরী কোডিং বিশ্লেষণ করা হয়, তখন ম্যাকাগ্নো, মেওয়েগ-পাউস ও কুহন (২০১৪) দেখেছেন যে শিক্ষার্থী-বিশেষজ্ঞ সংলাপের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা পরবর্তীতে মূল বিষয়টির গভীরে থাকা বিমূর্ত ধারণা (যেমন নৈতিক নীতিমালা, মূল্যবোধের দ্বন্দ্ব) নিয়ে যুক্তি তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে। এটি শিক্ষার্থী-শিক্ষার্থী সংলাপে দেখা যায়নি<ref name="macagno2" />। বিশেষজ্ঞরা শিক্ষার্থীর যুক্তিকে আক্রমণ করার জন্য আরও নির্দিষ্ট ও জটিল কৌশল ব্যবহার করেন, যেমন সমস্যা সমাধানের বিকল্প উপায় প্রস্তাব করা। এটি পরবর্তী সময়ে শিক্ষার্থীর মেটা-সংলাপে পারফরম্যান্স উন্নত করেছে<ref name="macagno2" />। এই ফলাফল নির্দেশ করে যে সহযোগিতামূলক কার্যকলাপে যুক্তিবাদের ব্যবহার যুক্তিবাদী দক্ষতা বিকাশে সহায়ক। সমালোচনামূলক চিন্তনের মতো, শিক্ষাদানের পরিবর্তে, ইন্টারঅ্যাকটিভ পরিবেশে অনুশীলনের মাধ্যমে যুক্তিবাদ শেখা আরও কার্যকর হতে পারে।
=== বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদ ===
শ্রেণিকক্ষে যুক্তিবাদের প্রয়োগ নিয়ে অধিকাংশ সাহিত্য বৈজ্ঞানিক বিষয়কেই কেন্দ্র করে লেখা হয়েছে। যুক্তিবাদ বিজ্ঞান শিক্ষায় একটি টুল হিসেবে ব্যবহৃত হয় সমালোচনামূলক চিন্তন উন্নত করতে, ক্লাসে অংশগ্রহণ বাড়াতে এবং বিষয়ের চারপাশে পূর্বজ্ঞান ও বিশ্বাস সক্রিয় করতে<ref name="macagno2" />। বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব ও জ্ঞান ব্যাখ্যা এবং পরিশোধিত করার জন্য বিজ্ঞানীরাও যুক্তিবাদের ওপর নির্ভর করেন<ref name="jonassen2" />। জোনাসেন ও কিম (২০১০) বলেন, বিজ্ঞান শিক্ষকরা প্রায়ই যুক্তিবাদের গুরুত্ব অন্যান্য বিষয়ের চেয়ে বেশি দেন<ref>Jonassen, D.H., & Kim, B. (2010). Arguing to learn ad learning to argue: design justifications and guidelines. Education Technology & Research Development, 58(4), 439-457. DOI 10.1007/s11423-009-9143-8.</ref>। যুক্তিবাদ শিক্ষার্থীদের ভালোভাবে সংগঠিত সমস্যা ও অসংগঠিত সমস্যার সমাধান শিখতে সাহায্য করে। এটি দৈনন্দিন জীবনের সমস্যাগুলোকেও অন্তর্ভুক্ত করে। বিশেষভাবে, অসংগঠিত সমস্যা হচ্ছে এমন সমস্যা যেখানে লক্ষ্য ও সীমাবদ্ধতা স্পষ্ট নয় এবং একাধিক সমাধানের পথ ও মূল্যায়নের মানদণ্ড থাকে<ref name="jonassen2" />।
যুক্তিবাদের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা সমস্যা সমাধানের জন্য সঠিক যুক্তি ও সমালোচনামূলক চিন্তন প্রয়োগ করতে শেখে। উদাহরণস্বরূপ, একটি ভালোভাবে সংগঠিত সমস্যা হতে পারে পদার্থবিজ্ঞানের একটি প্রশ্ন যেখানে নির্দিষ্ট সূত্র ও নিয়ম অনুসরণ করে উত্তর বের করতে হয় অথবা পাঠ্যবইয়ের শেষে থাকা প্রশ্ন যা নির্দিষ্ট তত্ত্বের ওপর ভিত্তি করে সমাধান করতে হয়। অন্যদিকে, একটি অসংগঠিত সমস্যা হতে পারে একজন ব্যক্তির হৃদরোগের কারণ নির্ধারণ করা। এখানে বিভিন্ন জীবনধারা ও শারীরিক কারণ একত্রে কাজ করে এবং হৃদরোগের নানা রূপও বিবেচনা করতে হয়। এই ধরনের সমস্যা সমাধানের জন্য পুষ্টি, মানসিক স্বাস্থ্য ও জিনগত কারণের মতো অন্যান্য ক্ষেত্র থেকেও জ্ঞান প্রয়োগ করতে হয়। যেহেতু এই সমস্যাগুলোর একক কোনো উত্তর নেই, শিক্ষার্থীরা তাদের সমাধানের যুক্তি দিতে পারে<ref name="jonassen2" />। বিজ্ঞান শেখার সময় এমন সমস্যা সমাধানের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা সমালোচনামূলক চিন্তন ব্যবহার করে যুক্তিবাদী দক্ষতা গড়ে তোলে।
একজন ব্যক্তির যুক্তি প্রদানে আগ্রহ এবং দক্ষতা – এই দুইটিই বিজ্ঞানের শিক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে<ref name="bathgate">Bathgate, M., Crowell, A., Schunn, C., Cannady, M., & Dorph, R. (2015). The learning benefits of being willing and able to engage in scientific argumentation. International Journal of Science Education, 37(10), 1590-1612. doi:10.1080/09500693.2015.1045958</ref>। কারণ, বিজ্ঞান নিজেই এক ধরনের যুক্তিবাদী ক্ষেত্র।
[[চিত্র:The_Scientific_Method_as_an_Ongoing_Process.svg|থাম্ব|বিজ্ঞান মূলত যুক্তিবাদভিত্তিক একটি প্রক্রিয়া; বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির মধ্যেই এই যুক্তিক্রম দেখা যায়।]]
যদি শিক্ষার্থীরা অল্প বয়স থেকেই যুক্তিবাদে অংশ নিতে সক্ষম হয়, তবে তাদের বৈজ্ঞানিক বিষয়বস্তুর জ্ঞান অনেক বেশি বৃদ্ধি পেতে পারে। এর প্রধান কারণ হলো যুক্তিবাদী আলাপচারিতা। সেখানে অন্যের সঙ্গে দ্বিমত প্রকাশ করতে পারা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে কিশোর-কিশোরীদের ক্ষেত্রে যাদের সামাজিক আচরণ অত্যন্ত সক্রিয় থাকে (যেমন জুনিয়র থেকে সিনিয়র হাই স্কুল)। এই সামাজিক সক্ষমতা ব্যবহার করাই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এ সময় তারা একে অপরের সঙ্গে দ্বিমত প্রকাশ করতে আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠে। একজন শিক্ষার্থী যখন ক্লাসে অন্য কারও সঙ্গে যুক্তি দেয়, তখন সে তার চিন্তাভাবনা প্রকাশ করতে বাধ্য হয়। এই চিন্তাভাবনার ভাষায় রূপদান শিক্ষার্থীর শেখার জন্য খুবই কার্যকর<ref name="bathgate" />। এটি তাকে তার চিন্তাভাবনা বিশ্লেষণ ও সম্প্রসারণ করতে সাহায্য করে, কারণ তার ধারণাগুলো শ্রেণিতে উপস্থাপন করতে হয়। এছাড়া, এতে করে শিক্ষার্থী নিজের ভুল ধারণাও শনাক্ত করতে পারে, কারণ সহপাঠীরা তার যুক্তির বিরোধিতা করতে পারে<ref name="bathgate" />। এসব উপাদান সমালোচনামূলক চিন্তার অংশ এবং শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য অর্থাৎ ধারণাগত পরিবর্তনে অবদান রাখে। কিশোর-কিশোরীদের সামাজিক আচরণের এই প্রকৃতি বিজ্ঞানে তাদের শিক্ষায় যুক্তিবাদের প্রভাব বিস্তার করতে একটি সুযোগ সৃষ্টি করে<ref name="bathgate" />।
=== যুক্তিবাদ, সমস্যা সমাধান এবং ইতিহাস শিক্ষায় সমালোচনামূলক চিন্তন ===
ইতিহাস শিক্ষা শিক্ষার্থীদের জন্য সমস্যা সমাধান ও সমালোচনামূলক চিন্তনের বিকাশের এক সমৃদ্ধ সুযোগ প্রদান করে এবং মানব অভিজ্ঞতার প্রতি তাদের দৃষ্টিভঙ্গি প্রসারিত করে। ইতিহাস চর্চা একটি জ্ঞানগত ব্যবধান পূরণ করে; বিশেষ করে, এটি বর্তমান দিনের জ্ঞানের সঙ্গে "অসীম, অসংগঠিত এবং অজানা যা কিছু অতীতে ঘটেছে" – তার পার্থক্য দূর করে।<ref name="”S”">Seixas, P., Morton, T., Colyer, J., & Fornazzari, S. (2013). The Big Six: Historical thinking Concepts. Toronto: Nelson Education.</ref> বহুদিন ধরেই ইতিহাস শিক্ষায় সমালোচনামূলক চিন্তন এবং বিশ্লেষণী সমস্যা সমাধানের গুরুত্ব স্বীকৃত। ইতিহাসে দক্ষ হতে হলে শিক্ষার্থীদের বুঝতে ও নির্মাণ করতে হয় যে কিভাবে আমরা অতীত সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করি এবং কিভাবে অতীত ও ইতিহাস নামক জ্ঞানের ভাণ্ডারের মধ্যে সংযোগ তৈরি করি।<ref>Osborne, K. (2013). Forward. Seixas, P., Morton, T., Colyer, J., & Fornazzari, S. The Big Six: Historical thinking Concepts. Toronto: Nelson Education.</ref> দুর্ভাগ্যজনকভাবে, ইতিহাস শিক্ষাকে আজকাল শুধুমাত্র তথ্য মুখস্থ করার বিষয়ে সীমাবদ্ধ করে ফেলা হয়েছে – যেখানে অতিরিক্ত মুখস্থ এবং বহু বিকল্প প্রশ্নভিত্তিক পরীক্ষার উপর নির্ভর করা হচ্ছে। এটি বর্তমান বাস্তবতা থেকে সম্পূর্ণভাবে আলাদা। এই ধরনের পদ্ধতি শিক্ষার্থীদের ইতিহাস বিষয়ে আগ্রহ তৈরি করতে পারে না, এমনকি এটি অতীত ও বর্তমানের সংযোগ বুঝতেও সাহায্য করে না।
অন্যদিকে, বিজ্ঞান ও গণিতের অধ্যয়ন বহু বছর ধরে সমস্যা সমাধানের কার্যকলাপের মাধ্যমে দক্ষতা উন্নয়নের উপর কেন্দ্রীভূত হয়েছে। শিক্ষার্থীরা প্রাথমিক দক্ষতা অর্জন করে এবং ক্রমাগত জটিল সমস্যার একটি অগ্রগতি অনুসরণ করে এই দক্ষতাগুলোকে আরো গভীরভাবে রপ্ত করে। এটিতে তারা বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব এবং গাণিতিক সম্পর্ক সম্পর্কে আরও ভালোভাবে বুঝতে পারে। বিশেষ করে বিজ্ঞান শিক্ষায়, শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞানীদের মতো চিন্তা করতে এবং বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি ব্যবহার করে সমস্যার সমাধান করতে শেখানো হয়। যদি এই পদ্ধতি বিজ্ঞান ও গণিত শিক্ষার ক্ষেত্রে কার্যকর হয়, তবে ইতিহাস শিক্ষায় এটি ব্যবহার করা যাবে না কেন? <ref name="”S”2" />। অতএব, ঐতিহাসিক চিন্তা বিকাশের জন্য শিক্ষকদের পেশাদার ইতিহাসবিদদের দ্বারা ব্যবহৃত কৌশল ও সমস্যা সমাধানের পন্থাগুলো শেখানো প্রয়োজন। তবে, বিজ্ঞান ও গণিতের মতো নয়, ইতিহাসে আমরা যেসব সমস্যার সমাধান করি, সেগুলো প্রায়ই অস্পষ্ট এবং অনেক সময় সুস্পষ্টভাবে অমীমাংসিত থাকে। এটি শিক্ষার্থীদের জন্য এই দক্ষতাগুলি শেখা ও প্রয়োগ করা আরও চ্যালেঞ্জিং করে তোলে। পরবর্তী অংশে এই চ্যালেঞ্জগুলো আলোচনা করা হবে এবং ২০১৩ সালের ''দ্য বিগ সিক্স হিস্ট্রিকাল থিংকিং কনসেপ্ট'' (ছয়টি বড় ঐতিহাসিক চিন্তাভাবনার ধারণা)-র মাধ্যমে ঐতিহাসিক চিন্তা শেখানোর পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করা হবে।
==== ঐতিহাসিক চিন্তা - দ্য বিগ সিক্স ====
বহু বছরের গবেষণা ও সরাসরি শ্রেণিকক্ষ অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে সেক্সাস ও মর্টন (২০১৩) ঐতিহাসিক চিন্তা দক্ষতা বিকাশের জন্য ছয়টি অপরিহার্য যোগ্যতার একটি সেট তৈরি করেন। উপরোক্ত বিজ্ঞান ও গণিত শিক্ষার মতোই, ইতিহাস শিক্ষায় ‘বিগ সিক্স’ পদ্ধতি শিক্ষার্থীদের সহজ কাজ থেকে জটিল কাজের দিকে অগ্রসর হওয়ার সুযোগ দেয়। তদুপরি, এই পদ্ধতির উদ্দেশ্য হলো শিক্ষার্থীদের “সাধারণ উপলব্ধ ধারণার উপর নির্ভরতা থেকে সরে এসে ইতিহাস বোঝার জন্য সংস্কৃতির সবচেয়ে শক্তিশালী বুদ্ধিবৃত্তিক সরঞ্জাম ব্যবহার করা” শেখানো। (পৃষ্ঠা ১) <ref name="”S”2" /> এছাড়াও, বিগ সিক্স ধারণাগুলো শিক্ষার্থীদের দেখায় যে অতীতের ইতিহাস নির্মাণ করতে গেলে কী ধরণের জটিলতার মুখোমুখি হতে হয়। এই ছয়টি দক্ষতার মধ্যে রয়েছে: ঐতিহাসিক গুরুত্ব, প্রমাণ, ধারাবাহিকতা ও পরিবর্তন, কারণ ও পরিণতি, ঐতিহাসিক দৃষ্টিভঙ্গি, এবং নৈতিক মাত্রা।
'''ঐতিহাসিক গুরুত্ব'''
ইতিহাস সম্পর্কে সমালোচনামূলক দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে তুলতে হলে শিক্ষার্থীদের বুঝতে ও সংজ্ঞায়িত করতে হবে কী কারণে একটি ব্যক্তি, ঘটনা, বা সামাজিক পরিবর্তন ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ এবং কেন তাদের এ বিষয়ে সময় ব্যয় করা উচিত। ইতিহাস শিক্ষায় আচরণবাদী পদ্ধতি। সেখানে পাঠ্যপুস্তকই প্রধান তথ্য উৎস, শিক্ষার্থীদের ইতিহাস শেখায় প্যাসিভ বা নিষ্ক্রিয় হয়ে উঠতে। পাঠ্যপুস্তকই যেন নির্ধারণ করে দেয় কী জানতে হবে। উপরন্তু, শুধুমাত্র পাঠ্যপুস্তকের উপর নির্ভর করে জাতীয় ইতিহাস শেখানো “মাস্টার ন্যারেটিভ” তৈরি করতে পারে। এটি শিক্ষার্থীদের দেশের অতীতের বিতর্কিত দিকগুলো জানার সুযোগ সীমিত করে দেয়।<ref name="CA">Carretero, M., & van Alphen, F. (2014). Do Master Narratives Change Among High School Students? A Characterization of How National History Is Represented. Cognition and Instruction, 32(3), 290–312. http://doi.org/10.1080/07370008.2014.919298</ref> পাঠ্যপুস্তক থেকে মনোযোগ সরিয়ে দিলে, শিক্ষার্থীরা ঐতিহাসিকদের মতো করে অতীত বিশ্লেষণের ধাপ অনুসরণ করে সমালোচনামূলক চিন্তা দক্ষতা আরও ভালোভাবে উন্নয়ন করতে পারে এবং “ঐতিহাসিক গুরুত্ব সম্পর্কে যুক্তিসংগত সিদ্ধান্ত” তৈরি করতে পারে। <ref name="”S”2" /> তবে, এমনকি যদি শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক উৎস উপস্থাপন করাও হয়, তবু যদি তাদের শেখানো না হয় কেন এই নির্দিষ্ট প্রমাণ বা বিষয়গুলো নির্বাচন করা হয়েছে এবং কেন এগুলো গুরুত্বপূর্ণ, তাহলে তারা ইতিহাস গঠনে মানবিক প্রেরণার প্রভাব অনুধাবন করতে ব্যর্থ হতে পারে। বিজ্ঞানী যেভাবে “পজিটিভিস্টিক যুক্তিবাদের সংজ্ঞা” ব্যবহার করেন, ঐতিহাসিক চিন্তা তার চেয়ে ভিন্ন; এটি শিক্ষার্থীদেরকে অনুধাবন করাতে হয় তাদের নিজের প্রেরণা, শিক্ষকের বিষয় নির্বাচনের প্রেরণা, এবং অতীতের মানুষের প্রেরণা সম্পর্কে। <ref name="”Freedman2015”">Freedman, E. B. (2015). “What Happened Needs to Be Told”: Fostering Critical Historical Reasoning in the Classroom. Cognition and Instruction, 33(4), 357–398. http://doi.org/10.1080/07370008.2015.1101465</ref>
সেক্সাস ও মর্টন (২০১৩) ঐতিহাসিক গুরুত্ব নির্ধারণের দুটি উপাদান চিহ্নিত করেছেন: “আজকের জীবনে বিদ্যমান বড় ও প্রাসঙ্গিক উদ্বেগ যেমন পরিবেশগত স্থায়িত্ব, ন্যায়বিচার, ক্ষমতা, ও কল্যাণ” এবং “বিশেষ কিছু ঘটনা, বস্তু, ও ব্যক্তিত্ব যাদের ঐতিহাসিক গুরুত্ব নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে” (পৃষ্ঠা ১৬) <ref name="”S”2" /> এই দুটি উপাদানের সংযোগস্থলে ঐতিহাসিক গুরুত্ব নির্ধারিত হয়। এখানে ফ্রিডম্যান (২০১৫)-এর সমালোচনামূলক ঐতিহাসিক যুক্তির সংজ্ঞাটি যুক্ত করা প্রাসঙ্গিক। এটি আমাদের বোঝায় যে ইতিহাস অধ্যয়ন নিরপেক্ষ নয়। ইতিহাসবিদরা “তাদের অনুসন্ধান নির্ধারণ করেন তারা যে প্রশ্ন করেন ও যে তত্ত্ব ব্যবহার করেন তার মাধ্যমে” এবং তাই ইতিহাস শিক্ষার্থীদের “ঐতিহাসিক বর্ণনার সততা ও এর জোর ও উপেক্ষার ধরণ” বিশ্লেষণ করতে হয় (পৃষ্ঠা ৩৬০)। <ref name="”Freedman2015”" /> সমালোচনামূলক ঐতিহাসিক যুক্তি শিক্ষার্থীদের শেখায় তারা যে ফ্রেমটি গ্রহণ করেছে তা সম্পর্কে সচেতন হওয়া এবং এই ফ্রেমের সুবিধা ও সীমাবদ্ধতা বুঝতে পারা (পৃষ্ঠা ৩৬০)। <ref name="”Freedman2015”" /> অতএব, ইতিহাসবিদ ও ইতিহাস শিক্ষার্থীদের উভয়কেই বুঝতে হবে যে ঐতিহাসিক গুরুত্ব আরোপিত হয়, এটি অতীতের কোনো অন্তর্নিহিত গুণ নয়, এবং এটি পরিবর্তনশীল।
'''প্রমাণ'''
সেক্সাস ও মর্টন (২০১৩) বর্ণিত দ্বিতীয় দক্ষতা হলো অতীত সম্পর্কিত প্রশ্নের উত্তরে প্রমাণ ব্যবহার করা। ওয়াইনবার্গ (১৯৯১) একটি গবেষণায় উৎস নথিপত্র বিশ্লেষণে ব্যবহৃত জ্ঞানীয় প্রক্রিয়াগুলো নির্ণয় করেন এবং তিনটি কৌশলের কথা বলেন: প্রতিপাদন (মিলিয়ে দেখা), সোর্সিং (লেখক নির্ধারণ), এবং প্রাসঙ্গিকীকরণ বা প্রেক্ষাপটে স্থাপন। প্রতিপাদন মানে এক উৎসের সঙ্গে অন্যটির তুলনা করা, সোর্সিং মানে উপাত্ত পড়ার আগে লেখককে চিহ্নিত করা, এবং প্রাসঙ্গিকীকরণ মানে প্রমাণকে নির্দিষ্ট সময় ও স্থানে স্থাপন করা (পৃষ্ঠা ৭৭)। <ref name="Wa">Wineburg, S. S. (1991). Historical problem solving: A study of the cognitive processes used in the evaluation of documentary and pictorial evidence. Journal of Educational Psychology, 83(1), 73–87. http://doi.org/10.1037/0022-0663.83.1.73</ref>
এই গবেষণায় ইতিহাসবিদ ও উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে পার্থক্য তুলনা করা হয়। ওয়াইনবার্গ (১৯৯১) দেখান, ইতিহাসবিদরা সফল হয় কারণ তারা কোনো নির্দিষ্ট ঘটনা সম্পর্কে “পরিপ্রেক্ষিতভিত্তিক স্কিমা” তৈরি করে, বিজ্ঞান ও গণিতে ব্যবহৃত সাধারণ স্কিমা প্রসেসিংয়ের বিপরীতে (পৃষ্ঠা ৮৩)। <ref name="Wa" /> এছাড়াও, ইতিহাসবিদরা নথির উৎসের প্রতি শিক্ষার্থীদের চেয়ে বেশি সচেতনতা দেখিয়েছেন। এটি বোঝায় যে শিক্ষার্থীরা লেখকের পরিচয় ও উৎসের নির্ভরযোগ্যতার সম্পর্কটি বুঝতে পারেনি। ওয়াইনবার্গ বলেন, “কোনো বিবরণই মুক্তভাবে বিচ্ছিন্ন নয়, প্রতিটি বিবরণ কোনো সাক্ষীর সঙ্গে যুক্ত, এবং যদি সাক্ষী সন্দেহজনক হয়, তবে তাদের বিবরণও সন্দেহজনক” (পৃষ্ঠা ৮৪)। <ref name="Wa" /> এই গবেষণা দেখায় ইতিহাস নির্মাণে ইতিহাসবিদদের ব্যবহার করা জ্ঞানীয় কৌশল শেখানোর মাধ্যমে ঐতিহাসিক বোঝাপড়া উন্নত করা যেতে পারে।
অতীত সম্পর্কে একাধিক বর্ণনা থাকতে পারে, কারণ প্রত্যেকে তার নিজস্ব মূল্যবোধ ও অভিজ্ঞতা অনুযায়ী ইতিহাস ব্যাখ্যা করে। এটি স্বীকৃতি দিলে শিক্ষার্থীরা সাধারণ ইতিহাসের উপস্থাপনায় সন্তুষ্ট না থেকে একটি সমালোচনামূলক দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করতে পারে। ফ্রিডম্যান (২০১৫)-এর ভিয়েতনাম যুদ্ধ সংক্রান্ত গবেষণায় দেখা যায় যে প্রাথমিক উৎস বিশ্লেষণের মাধ্যমে এবং পাঠ্যপুস্তকের সাথে তুলনা করে শিক্ষার্থীরা বুঝতে পারে তারা কিভাবে ইতিহাস “ফ্রেম” করে। <ref name="”Freedman”">Freedman, E. B. (2015). “What Happened Needs to Be Told”: Fostering Critical Historical Reasoning in the Classroom. Cognition and Instruction, 33(4), 357–398. http://doi.org/10.1080/07370008.2015.1101465</ref> শিক্ষার্থীদের যদি প্রমাণভিত্তিক ব্যাখ্যা তৈরি করার স্বাধীনতা দেওয়া হয়, তাহলে ইতিহাসকে একটি স্থির জ্ঞানভান্ডার হিসেবে না দেখে তারা এটি বিশ্লেষণমূলকভাবে চিন্তা করতে শিখবে।
'''ধারাবাহিকতা ও পরিবর্তন'''
ধারাবাহিকতা ও পরিবর্তনের ধারণা গড়ে তুলতে হলে শিক্ষার্থীদের বুঝতে হবে ইতিহাসের ধারাবাহিকতায় এই দুটি উপাদান একসঙ্গে থাকে; কিছু জিনিস পরিবর্তিত হয়, আবার কিছু একই রকম থাকে। শিক্ষার্থীরা যদি নিজেদের জীবনে এই দুটি উপাদান চিহ্নিত করতে পারে, তাহলে তারা ইতিহাস অধ্যয়নে তা প্রয়োগ করতে পারবে। <ref name="S">Seixas, P., Morton, T., Colyer, J., & Fornazzari, S. (2013). The Big Six: Historical thinking Concepts. Toronto: Nelson Education.</ref> শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করা উচিত ইতিহাসের পরিবর্তনের গতি ও গভীরতা ব্যাখ্যা করতে এবং এটি অগ্রগতি না পতনের নিদর্শন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে।<ref name="S" /> ইতিহাসের পরিবর্তন ইতিবাচক না নেতিবাচক তা মূল্যায়ন সম্পূর্ণরূপে দর্শকের দৃষ্টিভঙ্গির উপর নির্ভর করে।
একটি উদাহরণ হলো সংস্কৃতি ও জাতীয় পরিচয়ের ধারাবাহিকতা। ক্যারেটেরো ও ভ্যান আলফেন (২০১৪) আর্জেন্টিনার উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে “মাস্টার ন্যারেটিভ” বিশ্লেষণ করে দেখান কিভাবে পরিচয় ইতিহাস শিক্ষায় সহায়ক হলেও অতীত ও বর্তমান গুলিয়ে ফেলতে পারে, যেমন বিজয়ী যুদ্ধ বা বিপ্লবের ক্ষেত্রে “আমরা” শব্দ ব্যবহার করা যা একটি জাতি গঠনে ভূমিকা রেখেছে (পৃষ্ঠা ৩০৮-৩০৯)। <ref name="CA" /> তাই শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সময় পর্ব চিহ্নিত করতে শেখানো জরুরি। তবে, '''ইতিহাসের পর্যায় বিভাজন''' নিজেই একটি ব্যাখ্যামূলক কাজ এবং এটি ইতিহাসবিদদের করা প্রশ্নের উপর নির্ভর করে। <ref name="S" />
শিক্ষায় প্রযুক্তির ব্যবহার, যেমন ইন্টারঅ্যাকটিভ টাইমলাইন, ইতিহাসভিত্তিক গেমস এবং অনলাইন আলোচনা, শিক্ষার্থীদের অতীত ও বর্তমানের মধ্যে সংযোগ গড়ে তুলতে সাহায্য করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, কানাডার মেডিকেয়ার বিষয়ে সভ্যতার জাদুঘর একটি ইন্টারঅ্যাকটিভ শিক্ষণ সরঞ্জাম সরবরাহ করে (http://www.museedelhistoire.ca/cmc/exhibitions/hist/medicare/medic01e.shtml)। ইন্টারঅ্যাকটিভ টাইমলাইন শিক্ষার্থীদের ধারাবাহিকতা, পরিবর্তন, কারণ ও পরিণতির মধ্যে সংযোগ দেখতে সহায়তা করে। এছাড়াও, শক্তিশালী অনুসন্ধানমূলক প্রশ্নের মাধ্যমে টাইমলাইনের নির্দেশনা দিলে শিক্ষার্থীদের বোঝাপড়া আরও গভীর হতে পারে এবং ঐতিহাসিক চিন্তা দক্ষতা বিকাশে সহায়তা করে।
উদাহরণস্বরূপ, ইউরোপীয় রেনেসাঁ সম্পর্কে একটি অনুসন্ধান নিম্নোক্ত প্রশ্ন দ্বারা পরিচালিত হতে পারে: “ইউরোপের সকলেই কি রেনেসাঁকে একইভাবে অভিজ্ঞতা করেছে?” এই ধরনের প্রশ্ন খোলা-প্রান্তিক হয় যাতে শিক্ষার্থীদের অনুসন্ধানকে নির্দিষ্ট পথে সীমাবদ্ধ না করে, বরং রেনেসাঁর পরিবর্তন এবং ইউরোপীয় সমাজের ধারাবাহিকতার মধ্যে একটি সম্পর্ক নির্দেশ করে। ঐতিহাসিক চিন্তাকে সহায়তা করার জন্য শিক্ষাগত প্রযুক্তির অন্যান্য উদাহরণগুলোর মধ্যে “''ওয়ার্ল্ড হিস্ট্রি ফর অল অফ আস''” (''আমাদের সকলের জন্য বিশ্ব ইতিহাস'' ''-'' [http://worldhistoryforusall.sdsu.edu/ http://worldhistoryforusall.এসডিsu.edu/]) প্রকল্প অন্তর্ভুক্ত। এই ওয়েবসাইটটি বিশ্ব ইতিহাসের ইউনিটগুলোকে বৃহৎ পরিসর এবং স্থানীয় পর্যায়ে ভাগ করেছে এবং তা ঐতিহাসিক সময়কাল অনুসারে সংগঠিত। পাঠ পরিকল্পনা এবং সংস্থানগুলো শিক্ষার্থীদের স্থানীয় ইস্যু ও বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটের মধ্যে সংযোগ স্থাপনে সহায়তা করতে পারে। এটি বিশ্ব ইতিহাসকে প্রভাবিত করে। অবশেষে, ব্ল্যাকেনশিপ (২০০৯) এর একটি কেস স্টাডি প্রস্তাব করে যে অনলাইন আলোচনা গোষ্ঠীগুলি সমালোচনামূলক চিন্তন বিকাশে উপকারী, কারণ এগুলোর মাধ্যমে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের চিন্তার প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করতে পারেন এবং ফলস্বরূপ, গঠনমূলক মূল্যায়ন ও প্রয়োজনীয় শিক্ষণ হস্তক্ষেপের ধরন নির্ধারণে সহায়তা পান। ব্ল্যাকেনশিপ (২০০৯) আরও গবেষণার উল্লেখ করেন যা অনলাইন আলোচনার পক্ষে যুক্তি দেয়, কারণ এতে শিক্ষার্থীরা আলোচনার আগে তাদের চিন্তা সংগঠিত করতে পারে; এতে তাদের পূর্ববর্তী জ্ঞান কাজে লাগাতে এবং নিজের ধারণা বিবেচনা করার জন্য বেশি সময় পাওয়া যায়। <ref>Blackenship, W. (2009). Making connections: Using online discussion forums to engage students in historical inquiry. Social Education, 73(3), 127-130.</ref>
'''কারণ ও পরিণতি'''
ঐতিহাসিক চিন্তার দক্ষতা হিসেবে কারণ ও পরিণতির ধারণা শিক্ষার্থীদেরকে ঐতিহাসিক ঘটনাবলীর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কারণ এবং তার তাৎক্ষণিক ও দীর্ঘমেয়াদি পরিণতি চিহ্নিত করতে পারার দক্ষতা অর্জনে সহায়তা করে। ঐতিহাসিক পরিবর্তনের কারণগুলি বোঝার জন্য ব্যক্তির কর্মকাণ্ড ও সেই সময়ের প্রচলিত পরিস্থিতি উভয়কেই স্বীকৃতি দেওয়া প্রয়োজন। ঐতিহাসিক চিন্তা শিক্ষার্থীদেরকে সরল, তাৎক্ষণিক কারণের বাইরে গিয়ে ইতিহাসকে “পারস্পরিকভাবে সংযুক্ত কারণ ও পরিণতির একটি জাল” হিসেবে ভাবতে শেখায়। এটির প্রতিটির উপর বিভিন্ন প্রভাব রয়েছে (পৃষ্ঠা ১১০)। <ref name="S2" /> অতীতকে আরও ভালভাবে বোঝার পাশাপাশি, এই দক্ষতাগুলি শিক্ষার্থীদের বর্তমানের দ্বন্দ্ব ও সমস্যাগুলো বোঝতেও সহায়তা করতে পারে। শ্রেইনার (২০১৪) নবীন/বিশেষজ্ঞ বিন্যাস ব্যবহার করে যাচাই করেন কীভাবে মানুষ ইতিহাসের জ্ঞান ব্যবহার করে বর্তমান ঘটনার বিষয়ে যুক্তিসঙ্গত সিদ্ধান্তে পৌঁছায়। উপরে উল্লিখিত ওয়াইনবার্গ (১৯৯১) গবেষণার অনুরূপভাবে, শ্রেইনার (২০১৪) দেখতে পান যে বিশেষজ্ঞরা প্রেক্ষাপট স্থাপন এবং উৎস বিশ্লেষণে বেশি দক্ষ। এটি তাদেরকে দলিলের নির্ভরযোগ্যতা ও ব্যবহারিকতা যাচাই করে যুক্তিসঙ্গত রায়ে পৌঁছাতে সাহায্য করে। এছাড়াও, গবেষণায় দেখা যায় যে শিক্ষার্থীরা অর্থ নির্মাণে বর্ণনা ব্যবহার করে, তবে তারা সাধারণত “স্কিমেটিক ন্যারেটিভ টেমপ্লেট” তৈরি করে। এটি অতীত সম্পর্কে সাধারণ বিবৃতি দেয় কিন্তু নির্দিষ্ট তথ্য ও ঘটনা থাকে না। <ref>Shreiner, T. L. (2014). Using Historical Knowledge to Reason About Contemporary Political Issues: An Expert–Novice Study. Cognition and Instruction, 32(4), 313–352. http://doi.org/10.1080/07370008.2014.948680</ref> সেইক্সাস ও মর্টন (২০১৩) অতিসরলেখ টাইমলাইন ব্যবহারে সাবধান করে দেন কারণ এতে ইতিহাসকে বিচ্ছিন্ন ঘটনাবলীর একটি তালিকা মনে হতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে যে ঐতিহাসিক বর্ণনা যা সময়কালভিত্তিক এবং কারণ-পরিণতি সম্পর্কযুক্ত, সেইসাথে সময়ের সাথে পরিবর্তন অন্তর্ভুক্ত করে, তা বর্তমান ইস্যু বোঝার জন্য সহায়ক।<ref name="S2" /> সুতরাং, শিক্ষকদের উচিত শিক্ষার্থীদের মধ্যে এই দক্ষতাগুলির বিকাশ ঘটানো। ঐতিহাসিক পরিবর্তনের মতোই, ইতিহাসের কিছু কর্মকাণ্ডের পরিণতি বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি অনুযায়ী ইতিবাচক বা নেতিবাচক হিসেবে দেখা যেতে পারে। এটি নিচে আরও বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হবে।
'''ঐতিহাসিক দৃষ্টিভঙ্গি ও নৈতিকতা'''
সেইক্সাস ও মর্টনের প্রস্তাবিত চূড়ান্ত দুটি ঐতিহাসিক চিন্তার দক্ষতা হলো ঐতিহাসিক দৃষ্টিভঙ্গি ও নৈতিকতা। ঐতিহাসিক দৃষ্টিভঙ্গি বলতে ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট বিশ্লেষণ বোঝায়। এটি একটি ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্বকে কোনো ঘটনা বা কর্মকাণ্ড নির্দিষ্টভাবে দেখাতে বা কাজ করতে প্রভাবিত করে। এতে অন্তর্ভুক্ত হতে পারে ধর্মীয় বিশ্বাস, সামাজিক অবস্থান, ভৌগোলিক অবস্থান, সময়কাল, প্রচলিত অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং সামাজিক/সাংস্কৃতিক অবস্থা। এখানে প্রমাণ ব্যাখ্যার প্রয়োজন হয় কারণ প্রায়শই আমাদের কাছে এমন তথ্য থাকে না যা সরাসরি কোনো ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্বের মনোভাব বা কার্যকারণের কারণ ব্যাখ্যা করে। প্রাথমিক উৎস দলিল, যেমন চিঠি বা ডায়েরি, কিছুটা ধারণা দিতে পারে, কিন্তু তবুও ঐতিহাসিকদেরকে তথ্যগুলো ব্যাখ্যা করে তা বৃহত্তর ঐতিহাসিক বর্ণনা বা কোনো ব্যক্তির জীবনীচিত্রে সংযুক্ত করতে হয়। পাশাপাশি, “কঠোর পরিসংখ্যান, যেমন জন্ম ও মৃত্যুহার, বিবাহের গড় বয়স, সাক্ষরতার হার, এবং পরিবারের আকার... এগুলো আমাদের মানুষের অভিজ্ঞতা, চিন্তা ও অনুভূতি সম্পর্কে ধারণা করতে সহায়তা করে” (পৃষ্ঠা ১৪৩)। <ref name="S2" /> অবশ্যই, অতীত সম্পর্কে আমাদের অনুমান করার সীমাবদ্ধতা রয়েছে; তবে সেইক্সাস ও মর্টন (২০১৩) প্রস্তাব করেন যে অতীত সম্পর্কে আমরা কী জানি না, তা স্বীকার করাও “সুস্থ ঐতিহাসিক চিন্তার” অংশ (পৃষ্ঠা ১৪৩)। <ref name="S2" /> শিক্ষার্থীরা অতীত ও বর্তমান জীবনধারা ও দৃষ্টিভঙ্গির পার্থক্য পর্যবেক্ষণ করে, যেসব মানবিক বৈশিষ্ট্য সময় অতিক্রম করে বিদ্যমান থাকে (যেমন সন্তানের প্রতি ভালোবাসা), তা চিহ্নিত করে এবং '''বর্তমানতাবাদ''' ও '''কালগত ভুল''' এড়িয়ে ঐতিহাসিক দৃষ্টিভঙ্গি অনুশীলন করতে পারে। <ref name="S2" /> ঐতিহাসিক দৃষ্টিভঙ্গির গভীরতর বোঝাপড়া শিক্ষার্থীদের সহায়তা করবে যখন তারা বিরোধপূর্ণ ঐতিহাসিক ব্যাখ্যার মুখোমুখি হবে, কারণ তারা দেখতে পারবে ঐতিহাসিক ব্যক্তিরা কোন প্রেক্ষাপট থেকে এসেছে এবং সে অনুযায়ী তাদের কর্মকাণ্ড বুঝতে পারবে। ঐতিহাসিক দৃষ্টিভঙ্গি ও নৈতিকতা একে অপরের সাথে সম্পর্কযুক্ত। সেইক্সাস ও মর্টন (২০১৩) যুক্তি দেন যে “ঐতিহাসিক চিন্তার নৈতিক মাত্রা ইতিহাস অধ্যয়নে অর্থ প্রদান করে” (পৃষ্ঠা ১৭০)। <ref name="S2" /> কোনো ব্যক্তির কর্মকাণ্ডের নৈতিক কারণ বোঝার জন্য আমাদের ঐতিহাসিক, ভৌগোলিক ও সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপটের প্রভাব বুঝতে হয়। পাশাপাশি, অতীতের নৈতিক পরিণতি বোঝার জন্য আমাদের নৈতিক মূল্যায়ন করতে হয়। এটি “সহানুভূতিশীল বোঝাপড়া [চাই]; তাদের ও আমাদের নৈতিক জগতের পার্থক্য বোঝা” (সিক্সাস এবং পেক, ২০০৪, পৃষ্ঠা ১১৩)। <ref>Seixas, P., & Peck, C. (2004). Teaching Historical Thinking. Challenges and Prospects for Canadian Social Studies, 109–117.</ref> ঐতিহাসিক চিন্তার অভিজ্ঞতা কম থাকলে শিক্ষার্থীরা বর্তমান সমাজের নৈতিক মানদণ্ড থেকে অতীতকে আলাদা করে ভাবতে পারে না। এছাড়াও, শিক্ষার্থীরা প্রায়শই অন্যান্য সংস্কৃতিকে নিজেদের সংস্কৃতির তুলনায় বেশি সমালোচনামূলক দৃষ্টিতে দেখে; অনেক সময় নিজেদের জাতির কর্মকাণ্ডকে সমর্থন বা যৌক্তিকতা দেয়। <ref name="L">Lopez, C., Carretero, M., & Rodriguez-Moneo, M. (2014). Telling a national narrative that is not your own. Does it enable critical historical consumption? Culture & Psychology , 20 (4 ), 547–571. http://doi.org/10.1177/1354067X14554156</ref> তাই, লোপেজ, কারেতেরো এবং রদ্রিগেজ-মোনেও (২০১৪) প্রস্তাব করেন যে শিক্ষার্থীদের নিজেদের দেশের বাইরে অন্য জাতির জাতীয় বর্ণনা বিশ্লেষণে ব্যবহার করলে সমালোচনামূলক ঐতিহাসিক চিন্তা আরও কার্যকরভাবে বিকাশ লাভ করে। যখন শিক্ষার্থীরা অতীতের নৈতিক সিদ্ধান্ত বিশ্লেষণে দক্ষ হয়, তখন তারা এই দক্ষতা বর্তমান সময়ের নৈতিক প্রশ্ন বিশ্লেষণে প্রয়োগ করতে পারে। ভূমিকাভিত্তিক অভিনয় ঐতিহাসিক দৃষ্টিভঙ্গি শেখানোর একটি কার্যকর শিক্ষণ কৌশল। ঐতিহ্যগত, সামনাসামনি শ্রেণিকক্ষে নাট্যভিত্তিক ভূমিকা পালন, বিতর্ক এবং মক ট্রায়াল পরিচালনা করা যায় যেখানে শিক্ষার্থীরা ইতিহাসের কোনো ব্যক্তি বা সামাজিক গোষ্ঠীর ভূমিকায় অভিনয় করতে পারে। এছাড়াও, শিক্ষামূলক গেম এবং ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এই কৌশলের সাথে প্রযুক্তির একত্রীকরণ করা যায়। হুইটওয়ার্থ ও বারসন (২০০৩) দেখতে পান যে ১৯৯০-২০০০ এর দশকে সামাজিক বিজ্ঞানের শ্রেণিকক্ষে প্রযুক্তি মূলত ইন্টারনেটকে শ্রেণিকক্ষে ব্যবহৃত উপকরণের ডিজিটাল সংস্করণ হিসেবে ব্যবহারে সীমাবদ্ধ ছিল। তারা প্রস্তাব করেন যে প্রযুক্তির বিকল্প ব্যবহার—যেমন অনুসন্ধানভিত্তিক ওয়েবকোয়েস্ট, সিমুলেশন, এবং সহযোগিতামূলক কর্মপরিবেশ—শিক্ষার্থীদের মধ্যে পারস্পরিক যোগাযোগ ও সমালোচনামূলক চিন্তন দক্ষতা বাড়ায়। <ref>Whitworth, S. A., & Berson, M. J. (2003). Computer technology in the social studies: An examination of the effectiveness literature (1996-2001). Contemporary Issues in Technology and Teacher Education [Online serial], 2(4). Retrieved from http://www.citejournal.org/volume-2/issue-4-02/social-studies/computer-technology-in-the-social-studies-an-examination-of-the-effectiveness-literature-1996-2001</ref> ভূমিকা-ভিত্তিক চিন্তা উন্নয়নে সহায়ক শিক্ষণ উপকরণের একটি উদাহরণ হলো মুসে-ম্যাককর্ড-এর অনলাইন গেম সংগ্রহ (http://www.mccord-museum.qc.ca/en/keys/games/)। বিশেষভাবে, ভিক্টোরিয়ান যুগ এবং গর্জে ওঠা বিশের দশকের গেমগুলো শিক্ষার্থীদের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে উপযুক্ত সিদ্ধান্ত নিতে এবং সেই সময়কাল অতিক্রম করতে সহায়তা করে। এই গেমগুলো জাদুঘরের সংশ্লিষ্ট সংস্থানগুলোর সাথে সংযুক্ত। এটি শিক্ষার্থীদের ঐতিহাসিক সময়কাল সম্পর্কে গভীরতর বোঝাপড়া গড়ে তুলতে পারে। ইতিহাসের নৈতিক উপাদান শেখাতে ঐতিহাসিক বর্ণনা, ঐতিহাসিক ঘটনাবলীর উপর নৈতিক অবস্থান নিয়ে বিতর্ক এবং গৌণ তথ্যসূত্র বিশ্লেষণের কৌশল ব্যবহার করা যেতে পারে।
সারাংশে, পেশাদার ঐতিহাসিকদের ইতিহাস অধ্যয়নের কৌশল শিক্ষার্থীদের মধ্যে ঐতিহাসিক চিন্তা উন্নয়নে সহায়ক বলে বিবেচিত হয়। পেশাদার ঐতিহাসিকদের প্রমাণ মিলিয়ে দেখা, উৎস বিশ্লেষণ, এবং ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট প্রতিষ্ঠার মত জ্ঞানীয় প্রক্রিয়াগুলি সেইক্সাস ও মর্টনের ''দ্য বিগ সিক্স হিস্ট্রিকাল থিংকিং কনসেপ্ট'' (''ছয়টি বড় ঐতিহাসিক চিন্তাভাবনার ধারণা'' - ২০১৩)-এ প্রতিফলিত হয়েছে। ঐতিহাসিক চিন্তা শিক্ষার্থীদের সমস্যা সমাধানের দক্ষতা দেয়। এটি তাদের অতীত বোঝার পাশাপাশি বর্তমানের সাথে যুক্ত করে, তাদের দৃষ্টিভঙ্গিকে প্রসারিত করে, প্রচলিত সামাজিক অবস্থাগুলো উপলব্ধি করতে এবং পৃথিবীর সাথে তাদের সম্পর্ক গঠনে প্রভাব ফেলে। ঐতিহাসিক চিন্তা প্রকল্পের ওয়েবপেজ (http://historicalthinking.ca/lessons) এ সমস্ত ঐতিহাসিক দক্ষতার জন্য শিক্ষণ কৌশল দেখা যাবে।
== অ্যাকাডেমিক বিতর্কের মাধ্যমে শিক্ষা ==
''[[চিন্তন ও নির্দেশনা/সমস্যা সমাধান, সমালোচনামূলক চিন্তন ও যুক্তি#glos অ্যাকাডেমিক বিতর্ক|অ্যাকাডেমিক বিতর্কের]]'' পদ্ধতি ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের বিতর্ক ও সমালোচনামূলক চিন্তার দক্ষতা শেখানো একটি কার্যকর উপায় হতে পারে। অ্যাকাডেমিক বিতর্কে চারজনের একটি সহযোগিতামূলক দলকে দুটি জোড়ায় ভাগ করে একটি বিতর্ক বা বিষয়ে বিপরীত অবস্থান দেওয়া হয়, এরপর উভয় জোড়া তাদের নির্ধারিত অবস্থানের পক্ষে যুক্তি দেয়। তারপর তারা তাদের অবস্থান পরিবর্তন করে আবার যুক্তি উপস্থাপন করে, এবং অবশেষে, চারজনের দলটি মিলে একটি সর্বজনীন সমাধানে পৌঁছায় <ref>Johnson, D. W., & Johnson, R. T. (1993). Creative and critical thinking through academic controversy. The American Behavioral Scientist, 37(1), 40-53. Retrieved from https://www.proquest.com/docview/1306753602</ref>। এই কার্যক্রম বিতর্ক ও সমালোচনামূলক চিন্তার উভয় দিক শেখাতে কার্যকর হতে পারে, যদিও এটি কিছুটা পুরনো হতে পারে। কার্যক্রমটি স্বভাবতই বিতর্কমূলক, কারণ শিক্ষার্থীদের দুটি ভিন্ন অবস্থানের জন্য যুক্তি ও দাবির উদ্ভাবন করতে হয়। এই ভারসাম্য বিতর্কের প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি শিক্ষার্থীদের তাদের নিজস্ব যুক্তি ও বিপক্ষের যুক্তি মূল্যায়নের সুযোগ দেয়। এটি যেকোনো বিতর্কে উপকারী হতে পারে। এছাড়াও, এই কার্যক্রম শিক্ষার্থীদের সমালোচনামূলক চিন্তার কয়েকটি দিক যেমন মূল্যায়ন, যুক্তিবোধ, এবং আত্মপর্যালোচনার সাথে যুক্ত করে, কারণ শিক্ষার্থীদের একটি সমন্বিত সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে হয়। এটি তাদের বিশ্লেষণাত্মক ও উদার মানসিকতা চর্চা করতে বাধ্য করে। এই কার্যক্রম শিক্ষার্থীদের উন্মুক্ত মন ও বিশ্লেষণাত্মক বিতর্কে অংশগ্রহণে উৎসাহিত করে। এটি সমালোচনামূলক চিন্তা ও বিতর্ক দক্ষতা বৃদ্ধিতে সহায়ক।
= শব্দকোষ =
; অ্যাকাডেমিক বিতর্ক
: একটি দ্বি-রাউন্ড বিতর্ক প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে ৪ জনের একটি সমবায় গ্রুপ বিরোধী জোড়ায় বিভক্ত হয় যা একটি বিতর্কে জড়িত। প্রতিটি জুটি তাদের নিজস্ব অবস্থানের জন্য যুক্তি দেয় এবং পরবর্তী রাউন্ডে বিরোধী অবস্থানে স্যুইচ করে।
; অ্যালগরিদম
: পদ্ধতিগুলো নির্দিষ্ট সমস্যাগুলোতে প্রয়োগ করা যেতে পারে যা সঠিকভাবে কার্যকর করা হলে সঠিক উত্তরের নিশ্চয়তা দেয়।
; অ্যানাক্রোনিজম
: এক সময়কালের বৈশিষ্ট্য বা ঘটনাকে অন্য সময়কালের জন্য দায়ী করা।
; বিশ্লেষণ
: আরও অনুমান এবং ব্যাখ্যার অনুমতি দেওয়ার জন্য প্রাসঙ্গিক তথ্য সনাক্তকরণ এবং নির্বাচন।
; যুক্তিতর্ক
: কোনও দাবি বা ধারণাকে সমর্থন বা খণ্ডন করার জন্য যুক্তি ব্যবহার করার প্রক্রিয়া।
; ক্রিটিক্যাল থিংকিং
: তথ্য ওজন, মূল্যায়ন এবং বোঝার সমন্বয়ে একটি প্রতিফলিত চিন্তাভাবনা
; ছাড়
: এক ধরণের যুক্তি যেখানে সাধারণ থেকে নির্দিষ্ট সিদ্ধান্তগুলো তৈরি করা হয়, প্রদত্ত তথ্য
; বর্ণনামূলক মডেল
: একটি নির্দেশমূলক পদ্ধতি যা ব্যাখ্যা করে যে কীভাবে ভাল চিন্তাভাবনা ঘটে।
; নকশা চিন্তাভাবনা
: শিক্ষার্থী কেন্দ্রিক শিক্ষা একটি বাস্তব-বিশ্বের সমস্যার সমাধান খুঁজে বের করার সাথে জড়িত।
; সরাসরি নির্দেশনা
: একটি গাইডেড লার্নিং পদ্ধতি যা সরাসরি জ্ঞানীয় দক্ষতা শেখায় এবং জ্ঞান স্পষ্টভাবে শিক্ষক থেকে শিক্ষার্থীর কাছে প্রেরণ করা জড়িত।
; স্বভাব [সমালোচনামূলক চিন্তার জন্য]
: বুদ্ধিবৃত্তিক আচরণে জড়িত হওয়ার জন্য একটি ঝোঁক, এই ধরনের আচরণগুলো জড়িত হতে পারে এমন সুযোগগুলোর প্রতি সংবেদনশীলতা এবং সমালোচনামূলক চিন্তনয় জড়িত হওয়ার জন্য একটি সাধারণ ক্ষমতা সহ সচেতনভাবে একটি দক্ষতা চয়ন করার ক্ষমতা।
; ডাইভারজেন্ট থিংকিং
: একাধিক এবং বৈচিত্র্যময় সমাধানের প্রজন্ম এবং পরীক্ষার দ্বারা চিহ্নিত চিন্তাভাবনা।
; ডোমেন নির্দিষ্ট জ্ঞান
: একটি বিশেষ এলাকা বা ক্ষেত্রের জ্ঞান।
; জ্ঞানতাত্ত্বিক বিশ্বাস
: প্রকৃতি ও জ্ঞান অর্জন সম্পর্কে বিশ্বাস।
; মূল্যায়ন
: বিশ্লেষণ, বিচার এবং ওজন করার উপ দক্ষতার জন্য একটি ছাতা শব্দ
; কার্যকরী স্থিরতা
: একটি পক্ষপাত যা কোনও ব্যক্তিকে কেবলমাত্র দৈনন্দিন জীবনে যেভাবে ব্যবহৃত হয় সেভাবে কোনও বস্তু ব্যবহার করতে সীমাবদ্ধ করে।
; অসুস্থ-সংজ্ঞায়িত সমস্যা
: যে সমস্যাগুলোর একটি সুস্পষ্ট লক্ষ্য, সমাধানের পথ বা প্রত্যাশিত উত্তর নেই।
; পরোক্ষ নির্দেশনা
: শিক্ষার্থী কীভাবে শেখানো উপাদানকে ব্যাখ্যা করে তার উপর জোর দিয়ে উপাদানগুলোর শিক্ষার্থী-ভিত্তিক নির্দেশনা
; আনয়ন
: এক ধরণের যুক্তি যেখানে নির্দিষ্ট তথ্য থেকে সাধারণ সিদ্ধান্তে আসা হয়
; অনুমান
: জ্ঞানের দুটি ইউনিটের মধ্যে এক ধরণের সংযোগ বা সমিতি
; অনুসন্ধান ভিত্তিক নির্দেশনা
: ন্যূনতম নির্দেশিত শিক্ষার একটি ফর্ম যা শিক্ষার্থীদের উপকরণগুলোর নিজস্ব বোঝার তৈরি করতে দেয়।
; জ্ঞান
: একজনের কাছে যে তথ্য রয়েছে, এর মধ্যে পরিচিত তথ্যের মধ্যে সংযোগ এবং সমিতি অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে
; মেটাকগনিশন
: জ্ঞান মানুষের নিজস্ব চিন্তা সম্পর্কে থাকে।
; পর্যায়ক্রম
: অতীতকে সময়ের স্বতন্ত্র ব্লকে শ্রেণিবদ্ধ করা (সময়কাল)।
; প্রেসক্রিপশন মডেল
: একটি নির্দেশমূলক পদ্ধতি যা ভাল চিন্তাভাবনার মানদণ্ড এবং বৈশিষ্ট্যগুলো ব্যাখ্যা করে
; উপস্থাপনবাদ
: বর্তমান সময়ের মূল্যবোধ এবং ধারণাগুলো ব্যবহার করে অতীতের ঘটনাগুলো ব্যাখ্যা করার প্রবণতা।
; সমস্যা ভিত্তিক শিক্ষা
: একটি ছাত্র-কেন্দ্রিক পদ্ধতি যেখানে শিক্ষার্থীরা একটি উন্মুক্ত সমস্যা বা প্রশ্ন সমাধানের অভিজ্ঞতার মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট বিষয় সম্পর্কে শিখতে পারে।
; সমস্যা উপস্থাপনা
: সমস্যা সমাধানকারীদের সমস্যাটি আরও ভালভাবে কল্পনা করার অনুমতি দেয় এবং এইভাবে তাদের সমাধানে পৌঁছাতে সহায়তা করে।
; সমস্যা সমাধান
: কগনিটিভ প্রসেসিং 'একটি লক্ষ্য অর্জনের জন্য ব্যবহৃত হয় যখন সমাধানকারীর কাছে কোনও সমাধান স্পষ্ট হয় না।
; উৎপাদন
: তর্কের প্রজন্ম
; প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা
: একটি ছাত্র-কেন্দ্রিক পদ্ধতি যেখানে শিক্ষার্থী একটি নির্দিষ্ট নকশা প্রক্রিয়ার মাধ্যমে একটি জটিল চ্যালেঞ্জের প্রতিক্রিয়া জানায়।
; স্ব-নিয়ন্ত্রণ
: নিজের শেখার ক্ষেত্রে মেটাকগনিটিভ, আচরণগতভাবে এবং অনুপ্রেরণামূলকভাবে সক্রিয় হওয়ার প্রক্রিয়া
; দক্ষতা কর্মসূচী
: সমস্যা সমাধানের মতো বিকল্প শিক্ষণ পদ্ধতির মাধ্যমে সিটি দক্ষতার বিকাশের সুবিধার্থে নকশা করা শিক্ষামূলক পাঠ্যক্রম
; সুসংজ্ঞায়িত সমস্যা
: যে সমস্যাগুলোর একটি সুস্পষ্ট লক্ষ্য, সমাধানের পথ বা প্রত্যাশিত উত্তর নেই।
= প্রস্তাবিত পাঠ =
# আব্রামি, পি.সি., বার্নার্ড, আর.এম., বোরোখভস্কি, ই., ওয়েড, এ., সার্কস, এম.এ., তামিম, আর., এবং ঝাং, ডি (২০০৮)। সমালোচনামূলক চিন্তন দক্ষতা এবং স্বভাবগুলোকে প্রভাবিত করে এমন নির্দেশমূলক হস্তক্ষেপ: একটি পর্যায় ১ মেটা-বিশ্লেষণ। শিক্ষাগত গবেষণা পর্যালোচনা, ৭৮ (৪)। ১১০২-১১৩৪. ডিওআই: ১০.৩১০২ / ০০৩৪৬৫৪৩০৮৩২৬০৮৪।
# Phan, H.P. (২০১০)। শিক্ষণ এবং শেখার ক্ষেত্রে একটি স্ব-নিয়ন্ত্রক প্রক্রিয়া উপাদান হিসাবে সমালোচনামূলক চিন্তন। সাইকোথেমা, ২২ (২)। ২৮৪-২৯২.
# Kozulin, A. & Presseisen, B.Z. (১৯৯৫)। মধ্যস্থতা শেখার অভিজ্ঞতা এবং মনস্তাত্ত্বিক সরঞ্জাম: শিক্ষার্থী শেখার একটি গবেষণায় ভাইগটস্কি এবং ফয়েরস্টাইনের দৃষ্টিভঙ্গি। শিক্ষাগত মনোবিজ্ঞানী, ৩০ (২), ৬৭-৭৫।
# Crowell, A., & Kuhn, D. (২০১১)। তরুণ কিশোর-কিশোরীদের চিন্তাভাবনা বিকাশের বাহন হিসাবে সংলাপমূলক যুক্তি। মনস্তাত্ত্বিক বিজ্ঞান, ২২ (৪), ৫৪৫-৫৫২। ডিওআই: ১০.১১৭৭ / ০৯৫৬৭৯৭৬১১৪০২৫১২।
== বহিঃসংযোগ ==
t1biwxhbi6n5ujapkbl9pib3u0w53ct
85802
85800
2025-07-07T22:27:06Z
NusJaS
8394
85802
wikitext
text/x-wiki
আমরা প্রতিনিয়ত এমন বহু অস্পষ্টতা, মিথ্যা তথ্য, চ্যালেঞ্জ কিংবা পরিস্থিতির মুখোমুখি হই যা আমাদের ''[[চিন্তন ও নির্দেশনা/সমস্যা সমাধান, সমালোচনামূলক চিন্তন ও যুক্তি#glos সমালোচনামূলক চিন্তন|সমালোচনামূলক চিন্তন]],'' ''[[চিন্তন ও নির্দেশনা/সমস্যা সমাধান, সমালোচনামূলক চিন্তন ও যুক্তি#glos সমস্যা সমাধানের দক্ষতা|সমস্যা সমাধানের দক্ষতা]]'', এবং ''[[চিন্তন ও নির্দেশনা/সমস্যা সমাধান, সমালোচনামূলক চিন্তন ও যুক্তি#glos যুক্তি প্রদর্শনের দক্ষতা|যুক্তি প্রদর্শনের দক্ষতা]]'' প্রয়োগের দাবি রাখে। যদিও এই তিনটি শব্দ প্রায়ই একে অপরের পরিবর্তে ব্যবহার করা হয়, তবে এগুলোর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য রয়েছে। সমালোচনামূলক চিন্তন আমাদের পাঁচটি ইন্দ্রিয়ের মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্যের সাথে সক্রিয়ভাবে যুক্ত হতে এবং সেসব তথ্য নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা করতে সক্ষম করে। এটি আমাদের জ্ঞান বিশ্লেষণ, সমালোচনা, প্রয়োগ এবং নতুন ধারণা তৈরির ক্ষমতা প্রদান করে। সমালোচনামূলক চিন্তনকে সমস্যার সমাধান ও যুক্তি প্রদর্শনের একটি বিস্তৃত জ্ঞানগত দক্ষতা হিসেবে ধরা যায়। সমালোচনামূলক চিন্তনের মাধ্যমে আমরা কিছু যৌক্তিক সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারি, তবে সবসময় একটি নির্দিষ্ট 'সঠিক' ধারণা থাকে না। যা আমাদের কাছে 'সঠিক' মনে হয়, তা প্রায়ই খুবই বিষয়ভিত্তিক।
সমস্যা সমাধান হচ্ছে সমালোচনামূলক চিন্তনের একটি রূপ। এখানে শিক্ষার্থীদের এমন সিদ্ধান্ত নিতে হয় যা একটি নির্দিষ্ট সঠিক উত্তরের পরিবর্তে সম্ভাব্য সেরা সমাধান খুঁজে বের করার দিকে পরিচালিত করে, তা সমস্যা সুনির্দিষ্ট হোক বা অস্পষ্ট। সমস্যার সমাধানে অংশগ্রহণের একটি উপায় হলো জ্ঞানীয় শিক্ষক বা কগনিটিভ টিউটরের মতো টিউটর সিস্টেম ব্যবহার করা। এটি শিক্ষার্থীদের জন্য সমস্যা কাস্টমাইজ করতে পারে এবং তাদের শেখার অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করে। সমস্যার সমাধানের ক্ষেত্রে একটি বিশেষ পদ্ধতি হলো প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা। এখানে শিক্ষার্থীকে একটি কেন্দ্রীয় প্রশ্ন সমাধানের উপর গুরুত্ব দিয়ে শেখার কেন্দ্রে রাখা হয় এবং একটি বিস্তৃত অনুসন্ধানের মধ্য দিয়ে শেখানো হয়। সমস্যা ভিত্তিক শিক্ষা বাস্তব জীবনের সমস্যা নিয়ে কাজ করে যা শিক্ষার্থীদের বাস্তব অভিজ্ঞতার মাধ্যমে শেখাতে অনুপ্রাণিত করে। আরও একটি পদ্ধতি নকশা চিন্তন। এটি একটি নির্দিষ্ট কাঠামো ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের প্রকৃত সমস্যা সমাধানের জন্য একটি প্রোটোটাইপ তৈরি করতে উৎসাহিত করে। এই প্রক্রিয়াটিতে সহানুভূতি, বাস্তবসম্মত নকশা নীতিমালা এবং প্রোটোটাইপিং এর পরিশোধন প্রমাণ করে এখানে সমালোচনামূলক চিন্তন সক্রিয়ভাবে কাজ করছে।
একইভাবে, যুক্তি প্রদর্শন একটি সমালোচনামূলক চিন্তার প্রক্রিয়া। এখানে একক উত্তর না থাকলেও চিন্তা-ভাবনার মধ্যে আলোচনার প্রয়োজন পড়ে। যুক্তি প্রদর্শন বিশেষভাবে একটি দাবি বা ধারণাকে সমর্থন বা খণ্ডন করার জন্য যৌক্তিক ব্যাখ্যা ব্যবহার করে। তুলনামূলকভাবে, সমস্যা সমাধান হয়তো এমন একটি সমাধানে পৌঁছাতে পারে যা প্রমাণভিত্তিক বলে বিবেচিত হয়।
এই অধ্যায়ে এই তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের একটি তাত্ত্বিক পর্যালোচনা প্রদান করা হয়েছে: প্রতিটির বৈশিষ্ট্য, একে অপরের সাথে সম্পর্ক, এবং শ্রেণিকক্ষে বাস্তব প্রয়োগ।
'''শিক্ষার ফলাফল:'''
* সমালোচনামূলক চিন্তনের সংজ্ঞা ও এর জ্ঞানের সাথে পারস্পরিক সম্পর্ক ব্যাখ্যা করা
*
* সমস্যা সমাধানের সংজ্ঞা এবং কীভাবে এটি সমালোচনামূলক চিন্তনের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করে তা ব্যাখ্যা করা
*
* জ্ঞানীয় শিক্ষক কে একটি জ্ঞানীয় শেখার টুল হিসেবে উপস্থাপন করা। এটি সমস্যার সমাধানের মাধ্যমে শেখার মান উন্নত করে
*
* প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা কে সমস্যার সমাধানের একটি নির্দিষ্ট পদ্ধতি হিসেবে অনুসন্ধান করা
*
* নকশা চিন্তন কে প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা-এর একটি উপশ্রেণি হিসেবে বিশ্লেষণ করা এবং শেখার জন্য এর কাঠামো উপস্থাপন করা
*
* যুক্তি প্রদর্শনের সংজ্ঞা এবং এটি কীভাবে সমালোচনামূলক চিন্তার পদ্ধতি ব্যবহার করে তা ব্যাখ্যা করা
*
* যুক্তি প্রদর্শনের জন্য নির্দিষ্ট পদ্ধতি ও প্রয়োগের উপকরণ বিশ্লেষণ করা
= সমালোচনামূলক চিন্তন =
[[চিত্র:Critical_Thinking_Skills_Diagram.jpg|alt=সমালোচনামূলক চিন্তন এবং অন্যান্য জ্ঞানীয় দক্ষতার সাথে এর সম্পর্ক|থাম্ব|সমালোচনামূলক চিন্তন এবং অন্যান্য জ্ঞানীয় দক্ষতার সাথে এর সম্পর্ক]]
সমালোচনামূলক চিন্তন শিক্ষার একটি অত্যন্ত মূল্যবান দিক। মানুষের জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা যত বাড়ে, সমালোচনামূলক চিন্তনের ক্ষমতাও সাধারণত বাড়ে; কিন্তু এই বিকাশ যত তাড়াতাড়ি শুরু করা যায় ততই ভালো। গবেষণায় দেখা গেছে, সমালোচনামূলক চিন্তনের দক্ষতা জ্ঞানের স্থানান্তরের সাথে সম্পর্কযুক্ত, আর এই দক্ষতার অভাব পক্ষপাতদুষ্ট যুক্তির সাথে সম্পর্কিত <ref>Heijltjes, A., Van Gog, T., & Paas, F. (2014). Improving Students' Critical Thinking: Empirical Support for Explicit Instructions Combined with Practice. Applied Cognitive Psychology, 28(4), 518-530.</ref>। শিশুরা প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা শুরু করার আগেই বাড়িতে বাবা-মা ও অভিভাবকদের সাথে পারস্পরিক মিথস্ক্রিয়ার মাধ্যমে সমালোচনামূলক চিন্তন গড়ে তোলে <ref name=":16">Murphy, K. P., Rowe, M. L., Ramani, G., & Silverman, R. (2014). Promoting Critical-Analytic Thinking in Children and Adolescents at Home and in School. Educational Psychology Review, 26(4), 561-578.</ref>। এছাড়াও, স্পষ্ট নির্দেশনা দিলে এই দক্ষতা আরও বাড়ে <ref>Gick, M. L. (1986). Problem-Solving Strategies. Educational Psychologist, 21(1/2), 99-121.</ref>।
সমালোচনামূলক চিন্তন আমাদের এমন সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করে যা আমাদের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে যেমন নির্বাচন। এখানে প্রার্থীরা নিজেদের ও অন্যদের সম্পর্কে পক্ষপাতদুষ্ট তথ্য উপস্থাপন করে, খুব কার্যকর হয়। সমালোচনামূলক চিন্তনের অনুপস্থিতিতে মানুষ মিথ্যা তথ্য ও পক্ষপাতদুষ্ট যুক্তির শিকার হয়ে পড়তে পারে। তাই শিক্ষার্থীদেরকে সমালোচনামূলক চিন্তনের সাথে পরিচিত করানো এবং তারা যেন এটি ব্যবহার করে তা উৎসাহিত করা খুব জরুরি।
=== সমালোচনামূলক চিন্তনের সংজ্ঞা ===
সাধারণভাবে, সমালোচনামূলক চিন্তন বলতে বোঝায় যুক্তি এবং প্রমাণের মূল্যায়নের একটি প্রক্রিয়া। এর মাধ্যমে বিভিন্ন সম্ভাব্য সিদ্ধান্তের মধ্যে সবচেয়ে যথাযথ ও যুক্তিসম্মত সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যায়। এটি একটি গতিশীল এবং প্রতিফলনশীল প্রক্রিয়া। এটি মূলত প্রমাণভিত্তিক <ref name=":15">Ku, K. Y., Ho, I. T., Hau, K., & Lau, E. C. (2014). Integrating direct and ''[[চিন্তন ও নির্দেশনা/সমস্যা সমাধান, সমালোচনামূলক চিন্তন ও যুক্তি#glos Inquiry-Based Instruction|Inquiry_Based Instruction]]'' in the teaching of critical thinking: An intervention study. Instructional Science, 42(2), 251-169.</ref>।
সমালোচনামূলকভাবে চিন্তা করা মানে হলো তথ্যকে নিরপেক্ষভাবে বিশ্লেষণ করা, বিপরীতমুখী মতামত অন্বেষণ করা এবং অবশেষে প্রমাণ ও সুপরিকল্পিত চিন্তার ভিত্তিতে একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছানো। সমালোচনামূলক চিন্তাবিদেরা সরবরাহকৃত তথ্যের বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে, প্রমাণ অনুসন্ধান করে এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও জটিল সমস্যার সমাধানে দ্বিধা করেন না <ref name=":14">Mathews, S. R., & Lowe, K. (2011). Classroom environments that foster a ''[[চিন্তন ও নির্দেশনা/সমস্যা সমাধান, সমালোচনামূলক চিন্তন ও যুক্তি#glos Disposition for Critical Thinking|Disposition for Critical Thinking]]''. Learning Environments Research, 14(1), 59-73.</ref>। প্রশ্ন করা, কোনো বিষয় নিয়ে বিতর্ক করা, এবং তথ্যের উৎসের বিশ্বাসযোগ্যতা পর্যালোচনা করাও সমালোচনামূলক চিন্তার উদাহরণ।
গ্লেজার (১৯৪১) এর মতে, সমালোচনামূলক চিন্তনের তিনটি প্রধান উপাদান আছে: সমালোচনামূলক চিন্তার মানসিকতা, এই চিন্তাভাবনার কৌশল সম্পর্কে জ্ঞান, এবং কৌশলগুলো প্রয়োগ করার সক্ষমতা <ref>Glaser, E. M. (1941). An Experiment in the Development of Critical Thinking. Columbia University.</ref>।
তথ্যকে বিশ্লেষণ ও মূল্যায়নের মতো জ্ঞানীয় প্রক্রিয়াগুলোর মাধ্যমে সমালোচনামূলক চিন্তন কোনো বিষয় বা সমস্যাকে আরও গভীরভাবে বোঝার পথে নিয়ে যায়। চিন্তার একটি প্রতিফলনমূলক রূপ হিসেবে এটি নিজস্ব ধারণা, উদ্দেশ্য, অনুভূতি এবং আচরণ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে <ref name=":13">Phan, H.P. (2010). Critical thinking as a self-regulatory process component in teaching and learning. Psicothema, 22(2). 284-292.</ref>।
{| class="wikitable"
|<big>'''সমালোচনামূলক চিন্তনের উপাদান'''</big>
|-
|''[[চিন্তন ও নির্দেশনা/সমস্যা সমাধান, সমালোচনামূলক চিন্তন ও যুক্তি#glos Knowledge|জ্ঞান]]''
|একটি জ্ঞানের ভিত্তি গড়ে তোলা এবং জ্ঞান অর্জনের জন্য নির্দিষ্ট কৌশল তৈরি করা। এটি নির্দেশনার মাধ্যমে আরও কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
|-
|''[[চিন্তন ও নির্দেশনা/সমস্যা সমাধান, সমালোচনামূলক চিন্তন ও যুক্তি#glos Inference|অনুমান]]''
|বিদ্যমান জ্ঞানের ভিত্তির মধ্যে সংযোগ তৈরি করা ''[[চিন্তন ও নির্দেশনা/সমস্যা সমাধান, সমালোচনামূলক চিন্তন ও যুক্তি#glos Deduction|নির্গমন]]'' এবং/বা ''[[চিন্তন ও নির্দেশনা/সমস্যা সমাধান, সমালোচনামূলক চিন্তন ও যুক্তি#glos Induction|অনুমিতি]]'' এর মাধ্যমে।
|-
|''[[চিন্তন ও নির্দেশনা/সমস্যা সমাধান, সমালোচনামূলক চিন্তন ও যুক্তি#glos Evaluation|মূল্যায়ন]]''
|বিশ্লেষণ, বিচার, ওজন নির্ধারণ, নৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ, সমালোচনা এবং নিজস্ব ও বাহ্যিক তথ্যের প্রতি প্রশ্ন উত্থাপন।
|-
|''[[চিন্তন ও নির্দেশনা/সমস্যা সমাধান, সমালোচনামূলক চিন্তন ও যুক্তি#glos Metacognition|মেটাকগনিশন]]''
|"চিন্তার বিষয়ে চিন্তা" করার প্রক্রিয়া। এর মধ্যে নিজের সিদ্ধান্ত, মতামত বা বিশ্বাসগুলি যথাযথ ও প্রমাণসমর্থিত কি না তা মূল্যায়ন অন্তর্ভুক্ত।
|}
=== সমালোচনামূলক চিন্তন একটি পশ্চিমা ধারণা ===
[[চিত্র:EPSA_General_Assembly.jpg|alt=সমালোচনামূলক চিন্তনকে সব গণতান্ত্রিক নাগরিকদের জন্য অপরিহার্য বলে বিবেচনা করা হয়|থাম্ব|সমালোচনামূলক চিন্তনকে সব গণতান্ত্রিক নাগরিকদের জন্য অপরিহার্য বলে বিবেচনা করা হয়]]
আধুনিক শিক্ষায়, সমালোচনামূলক চিন্তনকে এমন একটি বিষয় হিসেবে বিবেচনা করা হয় যা সকলের শেখা উচিত এবং যা মানুষের সার্বজনীন প্রয়োজন, বিশেষ করে উচ্চশিক্ষায় <ref name=":0">Moon, J. (2007). Critical Thinking: An Exploration of Theory and Practice (1st ed.). London ; New York: Routledge.</ref><ref name=":18">Kurfiss, J. G. (1988). Critical Thinking: Theory, Research, Practice, and Possibilities: ASHE-ERIC/Higher Education Research Report, Volume 17, Number 2, 1988 (1st ed.). Washington, D.C: Jossey-Bass.</ref>। তবে, সমালোচনামূলক চিন্তন একটি মানবিক নির্মাণ <ref name=":19">Board on Testing and Assessment, Division of Behavioral and Social Sciences and Education, & National Research Council. (2011). Assessing 21st Century Skills: Summary of a Workshop. National Academies Press.</ref> – এটি কোনো বৈজ্ঞানিক সত্য নয় – এবং এটি [[w:Ancient_Greek_philosophy|প্রাচীন গ্রিক দর্শন]] ও বিশ্বাসের সাথে গভীরভাবে যুক্ত <ref name=":1">Mason, M. (2009). Critical Thinking and Learning. John Wiley & Sons.</ref>।
এই সংযোগ প্রাচীন গ্রিসের যুক্তিবাদী চিন্তার প্রাধান্য এবং গণতান্ত্রিক নীতির প্রতিফলন করে <ref name=":1" />। এল্ডার ও পল<ref name=":5">Elder, L., & Paul, R. (2009). The Art of Asking Essential Questions (5th Edition). Dillon Beach, CA: Foundation for Critical Thinking</ref>, মুন<ref name=":0" />, এবং স্ট্যানলিক এবং স্ট্রসার<ref name=":6">Paul, R., & Elder, L. (2007). The Thinker’s Guide to The Art of Socratic Questioning. Dillon Beach, CA: The Foundation for Critical Thinking.</ref> সহ বিভিন্ন লেখক বিশ্বাস করেন, সমালোচনামূলক চিন্তনের সূত্রপাত [[w:Socrates|সক্রেটিসের]] সময় থেকেই হয়েছে। মরগান ও স্যাক্সটন (২০০৬) সমালোচনামূলক চিন্তনকে গণতান্ত্রিক নাগরিকদের একটি মৌলিক প্রয়োজনীয়তা হিসেবে দেখেছেন <ref name=":3">Morgan, N., & Saxton, J. (2006). Asking Better Questions (2nd ed.). Markham, ON: Pembroke Publishers.</ref>।
প্রাচীন গ্রিসের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ হলো সক্রেটীয় পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে দুটি বা ততোধিক ব্যক্তির মধ্যে যুক্তিপূর্ণ প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমে আলোচনা হয়। এখানে তারা একে অপরের মতবাদ চ্যালেঞ্জ করে <ref name=":2">Cain, R. B. (2007). The Socratic Method: Plato’s Use of Philosophical Drama. A&C Black.</ref>। এমন আলোচনা বাস্তবতা ও মতামতের দ্বৈততার বিষয় উত্থাপন করে। এখানে একটি ‘সঠিক উত্তর’ খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা করা হয়, তবে এই পদ্ধতির মধ্য দিয়েই মতবাদের বিষয়ভিত্তিকতা ফুটে ওঠে <ref name=":2" />।
এই প্রাচীন গ্রিক সংযোগের কারণে সমালোচনামূলক চিন্তনকে সাধারণত একটি পশ্চিমা ধারণা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ ধারণা আরও জোরালো হয় [[w:Bloom's_taxonomy|ব্লুমের শ্রেণিবিন্যাস]] নামক আরেকটি পশ্চিমা কাঠামোর মাধ্যমে। এটি আধুনিক শিক্ষায় সমালোচনামূলক চিন্তনের মূলে বিবেচিত <ref>Harmon, D. A., & Jones, T. S. (2005). Elementary Education: A Reference Handbook. ABC-CLIO.</ref>।
যেহেতু সমালোচনামূলক চিন্তন একটি মানবিক নির্মাণ, তাই এটি কেমন হওয়া উচিত তা ব্যক্তি থেকে ব্যক্তিভেদে ভিন্ন হতে পারে। মুন (১৯৯৭) তার কর্মশালাগুলো থেকে সমালোচনামূলক চিন্তনের ২১টি সাধারণ সংজ্ঞা তুলে ধরেছেন এবং তারপর নিজের ২-পৃষ্ঠার সংজ্ঞা প্রদান করেছেন <ref name=":0" />। একটি মতামত অনুসারে, সমালোচনামূলক চিন্তন এমন একটি দক্ষতার সমষ্টি যা কাউকে যুক্তিযুক্ত সিদ্ধান্ত নিতে এবং এমন প্রেক্ষাপটে সিদ্ধান্ত দিতে সক্ষম করে যেখানে পূর্ব জ্ঞান বিদ্যমান <ref name=":19" />। আরেকটি মত অনুযায়ী, এটি একটি পদ্ধতিগত যুক্তি ও বিশ্লেষণের ব্যবহার। এটি সবসময় প্রমাণভিত্তিক না হলেও যুক্তিনির্ভর ও বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করে <ref>Stanley, T., & Moore, B. (2013). Critical Thinking and Formative Assessments: Increasing the Rigor in Your Classroom. Routledge.</ref>। শেষ পর্যন্ত মুন এর মতে, সমালোচনামূলক চিন্তনের নির্দিষ্ট কোনো সঠিক বা ভুল সংজ্ঞা নেই <ref name=":0" />।
=== বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলে সমালোচনামূলক চিন্তন ===
গবেষকেরা যুক্তি দেন, সমালোচনামূলক চিন্তনের ধারণাটি যদিও পশ্চিমা, গণতান্ত্রিক দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্কিত, তবে এর অর্থ এই নয় যে অন্যান্য অ-পশ্চিমা সংস্কৃতিগুলোর মধ্যে সমালোচনামূলক চিন্তন সংক্রান্ত অনুরূপ কোনো গঠন বা চর্চা নেই <ref name=":4">Jung, I., Nishimura, M., & Sasao, T. (2016). Liberal Arts Education and Colleges in East Asia: Possibilities and Challenges in the Global Age. Springer.</ref>। বরং, “যুক্তি প্রদর্শনের বিভিন্ন পন্থা বা রূপ বিদ্যমান” <ref>Mason, M. (2009). Critical Thinking and Learning. John Wiley & Sons. p. 8.</ref>; যেমন, এশীয় অঞ্চলে বিতর্ক করার পদ্ধতিতে একে অপরের বিরোধী মতামতের মধ্যে সংযোগ খোঁজার চেষ্টা করা হয় যাতে এই মতাদর্শগুলো সহাবস্থান করতে পারে <ref name=":4" />। এটি পূর্বাচলিত মুখরক্ষা মূল্যবোধের কারণে ঘটে <ref name=":02" />। এর বিপরীতে, পশ্চিমা পন্থাগুলোকে প্রায়ই প্রতিযোগিতামূলক হিসেবে দেখা হয়: যেখানে অন্যের মতামত আক্রমণ করে নিজের অবস্থান রক্ষা করা হয়। যদিও এই বিভাজনমূলক সাধারণীকরণ বিদ্যমান, পূর্ব ও পশ্চিমা পন্থার মধ্যে বাস্তবিক দৃষ্টিকোণ থেকে অনেক মিল রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, এশীয় কূটনৈতিক বিতর্কপদ্ধতির ক্ষেত্রে যেমন সমঝোতা এবং আলোচনার প্রয়োজন হয়, তেমনি পশ্চিমা পন্থাগুলোর মধ্যেও এসব উপাদান থাকে কারণ ধারণাগুলো অনেক সময় জটিল হয় এবং অনেকগুলো 'সঠিক' উত্তর থাকতে পারে <ref name=":32" />। অনুরূপভাবে, অন্যান্য সংস্কৃতিগুলো কতটা পশ্চিমা সমালোচনামূলক চিন্তনের ধারণা গ্রহণ করে তা সংস্কৃতিগত মূল্যবোধ দ্বারা নির্ধারিত হয়। উদাহরণস্বরূপ, মুসলিম সংস্কৃতিগুলোতে সমালোচনামূলক চিন্তার মূল্য, নিজের মতামত প্রকাশের উপযুক্ততা সম্পর্কিত দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত <ref>Davies, M., & Barnett, R. (2015). The Palgrave Handbook of Critical Thinking in Higher Education. Springer.</ref>।
=== প্রবণতা ও সমালোচনামূলক চিন্তন ===
অনেকে মনে করেন, কেবলমাত্র সমালোচনামূলক চিন্তনের দক্ষতা থাকাই যথেষ্ট নয়—সমালোচনামূলক চিন্তার জন্য একটি '''[[w:Disposition|প্রবণতা]]''' থাকা প্রয়োজন <ref name=":142" />। এই প্রবণতা বা মানসিক প্রস্তুতি কগনিটিভ স্কিল থেকে ভিন্ন। এটি ব্যাখ্যা করা যায় এমন একটি ক্ষমতা হিসেবে। এখানে কেউ সচেতনভাবে একটি দক্ষতা ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নেয়, কেবল তা প্রয়োগ করার সক্ষমতার বাইরে <ref name=":152" />। সমালোচনামূলক চিন্তার প্রবণতার মধ্যে বুদ্ধিবৃত্তিক কার্যকলাপে প্রকৃত আগ্রহ ও দক্ষতা থাকতে পারে। পারকিন্স প্রমুখ (২০০০) এই ধারণাটি প্রসারিত করে বলেন, সমালোচনামূলক চিন্তার প্রবণতার তিনটি দিক রয়েছে: বুদ্ধিবৃত্তিক আচরণে অংশগ্রহণের একটি প্রবণতা; সুযোগগুলো সম্পর্কে সচেতনতা যেখানে এই আচরণগুলো চর্চা করা যায়; এবং সমালোচনামূলক চিন্তায় অংশগ্রহণের একটি সামগ্রিক সক্ষমতা <ref name=":142" />। হালপের্ন (১৯৯৮) উল্লেখ করেন, এই প্রবণতার মধ্যে কঠিন কাজ চালিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা, উদার মনের মানসিকতা এবং পরিকল্পনার অভ্যাস থাকা উচিত <ref name=":142" />। ক্লিফোর্ড প্রমুখ (২০০৪) পরিচালিত একটি কগনিটিভ স্কিল গবেষণায় দেখা গিয়েছে, সমালোচনামূলক চিন্তার প্রবণতা ভালো সমালোচনামূলক চিন্তাধারার দক্ষতার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত <ref name=":152" />।
নিম্নোক্ত বৈশিষ্ট্যগুলো হলো ব্যক্তির মনোভাব বা ব্যক্তিত্বের গুণাবলি, যেগুলো সমালোচনামূলক চিন্তনের দক্ষতা অর্জনে সহায়ক:
# জিজ্ঞাসু মনোভাব
# পদ্ধতিগত চিন্তা
# বিচারক্ষমতা সম্পন্ন
# সত্যান্বেষী
# বিশ্লেষণধর্মী
# উদারমনা
# যুক্তির উপর আস্থা
[[চিত্র:P_religion_world.svg|alt=ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক বিশ্বাস সমালোচনামূলক চিন্তার প্রবণতাকে প্রভাবিত করে|থাম্ব|ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক বিশ্বাস সমালোচনামূলক চিন্তার প্রবণতাকে প্রভাবিত করে]]
অনেকগুলো বিষয়ই কারও সমালোচনামূলক চিন্তার প্রবণতাকে প্রভাবিত করতে পারে; এর মধ্যে প্রথমটি হলো সংস্কৃতি <ref name=":142" />। সংস্কৃতির অনেক দিকই মানুষের সমালোচনামূলক চিন্তার সক্ষমতাকে প্রভাবিত করতে পারে। যেমন, ধর্ম অনেক সময় এই দক্ষতার বিকাশে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে <ref name=":142" />। অনেক ধর্মই বিশ্বাসের উপর প্রতিষ্ঠিত। এখানে প্রমাণ ছাড়াই অন্ধ বিশ্বাসের প্রয়োজন হয়। সংগঠিত ধর্মের এই বৈশিষ্ট্যটি সমালোচনামূলক চিন্তার মূল ভিত্তির বিরোধিতা করে। কারণ সমালোচনামূলক চিন্তা মূলত যেকোনো দাবির যথার্থতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা মূল্যায়ন করে। এমন পরিবেশে বেড়ে ওঠা একটি শিশুর এই দক্ষতা বিকাশে অন্তরায় হতে পারে। এই ধরনের পরিবেশ ধর্মীয় বিশ্বাস প্রশ্নবিদ্ধ করার প্রবণতা বা ধর্মের গ্রহণযোগ্যতা বিশ্লেষণের মনোভাবকে দমন করতে পারে। আরেকটি সাংস্কৃতিক উপাদান হলো কর্তৃত্ব <ref name=":142" />। একজন শিশু যদি কর্তৃত্ববাদী অভিভাবকত্বে বেড়ে ওঠে, তবে তাদের জীবনের অনেক দিকেই নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে, কিন্তু বিশেষভাবে সমালোচনামূলক চিন্তার ওপর এর প্রভাব বেশি পড়ে। কারণ সেখানে কর্তৃত্বের বিশ্বাসযোগ্যতা প্রশ্ন করা শেখানো হয় না এবং কেউ করলে তাকে শাস্তি দেওয়া হয়। এই একই বিষয় শ্রেণিকক্ষেও প্রযোজ্য <ref name=":142" />। শ্রেণিকক্ষের এমন পরিবেশ। এখানে শিক্ষকেরা মুক্ত আলোচনার পরিবেশ তৈরি করেন না বা শিক্ষার্থীদের শেখানো বিষয়ে প্রশ্ন তুলতে দেন না, তা সমালোচনামূলক চিন্তার বিকাশে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। যেখানে প্রশ্ন করা নিরুৎসাহিত করা হয় বা বাড়িতে অভিভাবকীয় কর্তৃত্ব খুব বেশি, সেসব পরিবেশ শিক্ষার্থীদের চিন্তার স্বাধীনতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। উপরন্তু, এসব শিক্ষার্থী হয়তো আজীবন এমন পরিবেশে অভ্যস্ত হয়ে ওঠে <ref name=":142" />। তবে, এই সাংস্কৃতিক সীমাবদ্ধতাগুলো সত্ত্বেও, ঘর ও শ্রেণিকক্ষে সমালোচনামূলক চিন্তার প্রবণতা গড়ে তোলার উপায় রয়েছে।
শ্রেণিকক্ষের গঠনই এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায়। এর মাধ্যমে এই প্রবণতাগুলোকে উৎসাহিত করা যায়। এমন শ্রেণিকক্ষের কাঠামো তৈরি করা। এখানে শিক্ষার্থীরা কী পড়বে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে পারে, তা সমালোচনামূলক চিন্তা প্রবণতা গঠনে সহায়ক হতে পারে <ref name=":142" />। এ ধরনের কাঠামো শিক্ষার্থীদের শেখার বিষয়ের প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি করে এবং সেই সঙ্গে এমন একটি শ্রেণিকক্ষের পরিবেশ তৈরি করে যেখানে শিক্ষার্থীরা শিক্ষক এবং সহপাঠীদের মতামত ও বিশ্বাস সম্পর্কে প্রশ্ন তুলতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে। শিক্ষার্থীদের দেওয়া তথ্য বিশ্লেষণ ও মূল্যায়নের স্বাধীনতা দেওয়া, এমন একটি শ্রেণিকক্ষের পরিবেশ তৈরি করে যেখানে সমালোচনামূলক চিন্তা প্রবণতা বিকাশ সম্ভব। এই স্বাধীনতা শিক্ষার্থীদের বৃহত্তর শ্রেণিকক্ষ কাঠামোর ভেতরেও স্বতন্ত্র ব্যক্তি হিসেবে গড়ে ওঠার সুযোগ দেয় এবং তাদের নিজের সিদ্ধান্ত নিজেরাই নেওয়ার ক্ষমতা অর্জনের পথ করে দেয়। শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের ক্ষমতা ভাগ করে দেওয়া তাদের উদ্দীপনা ধরে রাখা ও বিশ্লেষণধর্মী মনোভাব গড়ে তোলার ক্ষেত্রে অত্যন্ত কার্যকর হতে পারে <ref name=":142" />। শিক্ষকরা শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের স্বতন্ত্রতা গঠনের জন্য বিভিন্ন কৌশল ব্যবহার করতে পারেন। শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন ভূমিকা পালন করতে দেওয়া যেতে পারে, যেমন পূর্বানুমান করা বা সমস্যা বিশ্লেষণ করা <ref name=":142" />। শিক্ষার্থীদের সামনে উপস্থাপিত সমস্যাগুলোতে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করতে দেওয়া, কেবল পাঠ্যপুস্তক বা শিক্ষকের মতামত শেখানো নয়, বরং নিজের মত গঠনের জন্য শিক্ষার্থীদের স্বাধীনতা দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। এর পাশাপাশি, বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করা ও বিশ্লেষণ করাও সমালোচনামূলক চিন্তা প্রবণতা গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এতে শিক্ষার্থীরা নিজেরাই তথ্য খুঁজে বের করে, বিশ্লেষণ করে এবং নিজস্ব সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারে <ref name=":142" />। এইভাবে শিক্ষার্থীরা তাদের পূর্বানুমান ও গবেষণার ফলাফল বিশ্লেষণ করে সেই ধারণাগুলোর যথার্থতা মূল্যায়ন করতে পারে <ref name=":142" />।
=== আত্ম-নিয়ন্ত্রণ ও সমালোচনামূলক চিন্তন ===
শিক্ষকদের উচিত, সমালোচনামূলক চিন্তা শেখানোর পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের '''[[w:আত্ম-নিয়ন্ত্রণ|আত্ম-নিয়ন্ত্রণ]]''' বজায় রাখার দিকেও নজর দেওয়া। নতুন কোনো দক্ষতা শেখার সময় শিক্ষার্থীদের তাদের শেখার প্রতি মোটিভেশন বজায় রাখতে এবং আত্মপ্রণোদিত মনোভাব রাখার প্রয়োজন হয়। ফ্যান (২০১০)-এর একটি প্রবন্ধে বলা হয়েছে। এরা আত্ম-নিয়ন্ত্রিত শিক্ষার্থী, তারা লক্ষ্যের প্রতি বেশি মনোযোগী হয়, নিজেদের শেখার জন্য আরও বেশি দায়িত্বশীল হয়, তাদের মোটিভেশন বজায় থাকে, এবং তারা কগনিটিভভাবে আরও নমনীয় হয়। এর ফলে তারা সমালোচনামূলক চিন্তা চর্চায় আগ্রহী হয়। যেহেতু সমালোচনামূলক চিন্তন দক্ষতা অত্যন্ত প্রতিফলনমুখী, তাই তা আত্ম-নিয়ন্ত্রিত শিক্ষায় সহায়তা করে এবং বিপরীতভাবে আত্ম-নিয়ন্ত্রণমূলক কৌশলগুলো সমালোচনামূলক চিন্তন দক্ষতা গঠনে সহায়তা করে <ref name=":132" />।
[[চিন্তন ও নির্দেশনা/সমস্যা সমাধান, সমালোচনামূলক চিন্তন ও যুক্তি#আত্ম-নিয়ন্ত্রণ|আত্ম-নিয়ন্ত্রণ]] শিক্ষার্থীদের সক্রিয়ভাবে শেখার জন্য প্রয়োজনীয় মৌলিক মেটা-কগনিটিভ সচেতনতা দেয়। এই সচেতনতা শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন, প্রতিফলন এবং যুক্তিসিদ্ধ সিদ্ধান্ত নেওয়ার মতো সমালোচনামূলক চিন্তা প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণে সহায়তা করে। নিজের চিন্তাভাবনা মূল্যায়নের মেটা-কগনিটিভ ক্ষমতার মাধ্যমে, একজন শিক্ষার্থী শেখার ক্ষেত্রে আত্মনির্ভরশীল হয়ে উঠতে পারে <ref name=":132" />। প্রতিটি কাজে একজন তত্ত্বাবধায়ক থাকা না লাগলেও শিক্ষার্থী নিজেই নিজের অগ্রগতি মূল্যায়ন করে নিজস্ব গতিতে এগিয়ে যেতে পারে, এটাই SRL-এর মূলনীতি। এই প্রক্রিয়ার অংশ হলো একজন শিক্ষার্থীর নিজস্ব কৌশল নিয়ে নিয়মিতভাবে প্রতিফলন করা। এই প্রতিফলন সমালোচনামূলক চিন্তার মাধ্যমে শিক্ষার্থীর শেখার পদ্ধতি অনুযায়ী উপযুক্ত কৌশল বেছে নিতে সাহায্য করে।
সমালোচনামূলক চিন্তার জটিল প্রকৃতি ইঙ্গিত করে এটি একটি দীর্ঘমেয়াদী বিকাশ প্রক্রিয়া। এখানে দিকনির্দেশনা, চর্চা ও পুনরাবৃত্তি প্রয়োজন। এই প্রক্রিয়াকে সহজ করতে, আত্ম-পর্যবেক্ষণ আত্ম-নিয়ন্ত্রণের প্রাথমিক ধাপ হিসেবে কাজ করে। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা তাদের নিজের শিক্ষা অর্জনের প্রতিফলন শুরু করতে পারে। এই মূল্যায়ন অ্যাকাডেমিক সক্ষমতা সম্পর্কে মোটিভেশনাল বিশ্বাস সৃষ্টি করে আত্ম-দক্ষতা বৃদ্ধি করে <ref name=":132" />। এরপর চর্চার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা তাদের সমালোচনামূলক চিন্তন দক্ষতাকে নিজেদের পরিধি ছাড়িয়ে শিক্ষাগত প্রেক্ষাপটে প্রসারিত করতে পারে। নিয়মিত চর্চার মাধ্যমে, শিক্ষার্থীরা তাদের মেটা-কগনিটিভ কৌশলকে দীর্ঘমেয়াদী সমালোচনামূলক চিন্তন দক্ষতা গঠনের ভিত্তি হিসেবে ব্যবহার করতে পারে।
== সমালোচনামূলক চিন্তনের কৌশলসমূহ ==
[[চিত্র:Studysuccessweb.jpg|থাম্ব|ধারণাচিত্র]]
মনোবিজ্ঞানী ও শিক্ষাবিদেরা সমালোচনামূলক চিন্তার বিকাশের জন্য বহু কৌশল আবিষ্কার করেছেন। এই কৌশলগুলোর মধ্যে কিছু খুব পরিচিত, যেমন [[w:ধারণাচিত্র|ধারণাচিত্র]] বা [[w:Venn_diagram|ভেন চিত্র]], আবার কিছু কম পরিচিত যেমন, "আপিল-কোয়েশ্চন স্টিমুলাস স্ট্র্যাটেজি" <ref name=":17">Cibáková, D. (2015). Methods of developing critical thinking when working with educative texts. E-Pedagogium, (2), 135-145.</ref>। ধারণাচিত্র মানচিত্র ধারণা ও বিষয়বস্তুর পারস্পরিক সম্পর্ক চিত্রিত করতে সহায়ক, এবং ভেন চিত্র সাধারণত পরস্পরবিরোধী ধারণা উপস্থাপনের জন্য ব্যবহৃত হয় <ref name=":17" />।
=== ভেন চিত্র ===
[[চিত্র:Venn-and.svg|alt=ভেন ডায়াগ্রাম|থাম্ব|ভেন চিত্র]]
উচ্চ বিদ্যালয় ৭ম শ্রেণি থেকেই গণিতে সেট অধ্যায়ে ভেন চিত্র প্রায়ই ব্যবহৃত হয়। অন্য পর্যায়েও তুলনামূলক বিশ্লেষণের জন্য এটি ব্যবহৃত হয়। উদাহরণস্বরূপ, বিজ্ঞান ক্লাসে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন গাছ বা প্রাণীর তুলনা ও বিপরীত বৈশিষ্ট্য উপস্থাপনার জন্য ভেন চিত্র তৈরি করতে বলা যেতে পারে। ধারণাচিত্র মানচিত্র প্রাথমিক পর্যায়ে পরিচয় করিয়ে দেওয়া গেলেও তা মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা পর্যায়ে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়। এই ধরনের মানচিত্র শিক্ষার্থীদের পাঠ্যবিষয়ের সঙ্গে যুক্ত থাকতে উৎসাহিত করার একটি সক্রিয় ও বহুমাত্রিক পন্থা।
একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো কনসেপ্ট ম্যাপিং শিক্ষার্থীদের পূর্বে শেখা তথ্য নিয়ে চিন্তা করতে এবং সংযোগ তৈরি করতে উদ্বুদ্ধ করে। প্রাথমিক শ্রেণিগুলোতে, কনসেপ্ট ম্যাপ প্রকল্প হিসেবে উপস্থাপন করা যেতে পারে, আর পরবর্তীতে, যেমন কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে, শিক্ষার্থীরা এটি একটি অধ্যয়ন কৌশল হিসেবে ব্যবহার করতে পারে। প্রাথমিক স্তরে, শিক্ষার্থীরা তাদের পড়া গল্পে চরিত্র, স্থান বা কাহিনির মধ্যে সংযোগ স্থাপনে কনসেপ্ট ম্যাপ ব্যবহার করতে পারে। যখন কনসেপ্ট ম্যাপ পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়, তখন শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের একটি শব্দ বা বাক্যাংশের তালিকা দিতে পারেন এবং শিক্ষার্থীদের নির্দেশ দেন এগুলোর মধ্যে সংযোগ কনসেপ্ট ম্যাপের আকারে চিত্রিত করতে। প্রশ্ন করা একটি সহজ এবং আকর্ষণীয় উপায় হতে পারে সমালোচনামূলক চিন্তার বিকাশের জন্য। শিক্ষকরা উপকরণ নিয়ে শিক্ষার্থীদের প্রশ্ন করে শুরু করতে পারেন এবং তারপর শিক্ষার্থীদের নিজেদের প্রশ্ন তৈরি করতে উৎসাহিত করতে পারেন। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষায়, শিক্ষার্থীরা কোনো উৎসের বিশ্বাসযোগ্যতা যাচাইয়ের জন্য প্রশ্ন ব্যবহার করতে পারে। প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যায়ে, প্রশ্ন ব্যবহার করা যেতে পারে শিক্ষার্থীদের উপকরণ বোঝার ক্ষমতা মূল্যায়নে, এবং একই সঙ্গে তাদের সমালোচনামূলক চিন্তায় উৎসাহিত করতে, যেমন গল্পের চরিত্রদের কার্যকলাপ নিয়ে প্রশ্ন তোলা বা কোনো পরীক্ষার গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে চিন্তা করা। ‘অ্যাপিল-কোয়েশ্চেন স্টিমুলি’। এর প্রবর্তক স্বোবোডোভা, এই পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীরা তাদের পড়া বোঝাপড়া সম্পর্কে প্রশ্ন তোলে <ref name=":172" />।
=== আলোচনা ===
শিক্ষার্থীদের সমালোচনামূলক চিন্তন দক্ষতা বিকাশে আলোচনা একটি বিশেষভাবে কার্যকর কৌশল হতে পারে শিক্ষকদের জন্য। সহপাঠীদের সঙ্গে মিথস্ক্রিয়া কিছু নির্দিষ্ট সমালোচনামূলক চিন্তন দক্ষতা গঠনের ভিত্তি তৈরি করে, যেমন ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ এবং সহযোগিতা। এটি হয়তো সরাসরি শেখানোর মাধ্যমে সহজে শেখানো যায় না। আলোচনার একটি বড় অংশ অবশ্যই ভাষা। ক্লুস্টার (২০০২) বলেছেন, সমালোচনামূলক চিন্তা শুরু হয় প্রশ্ন তোলার মাধ্যমে <ref name=":172" />। অনুরূপভাবে, ভিগোৎসকি উল্লেখ করেছেন যে ভাষাগত দক্ষতা উচ্চস্তরের চিন্তাধারার জন্য অপরিহার্য পূর্বশর্ত হতে পারে <ref name=":162" />। যখন শিশুদের শব্দভাণ্ডার বড় হয়, তখন তারা পাঠ্যবস্তুকে আরও ভালোভাবে বুঝতে পারে এবং তারপরে সে উপকরণ নিয়ে বিমূর্তভাবে চিন্তা করতে পারে এবং সহপাঠীদের সঙ্গে তা নিয়ে চিন্তাশীল আলোচনা করতে পারে <ref name=":162" />।
গবেষণায় দেখা গিয়েছে,, বিভিন্ন বয়সের সহপাঠীদের মধ্যে আলোচনা সমালোচনামূলক চিন্তার বিকাশে বিশেষভাবে সহায়ক হতে পারে। এই ধরনের গ্রুপগুলো কার্যকর হতে পারে কারণ শিশুদের মধ্যে বিভিন্ন বয়সের সহপাঠীদের সঙ্গে কাজ করার সময় সাধারণত বেশি অনুপ্রেরণা দেখা যায় <ref name=":162" />। ছোটরা বড়দের একজন মেন্টর এবং জ্ঞানের উৎস হিসেবে দেখে, আর বড়রা একটি পরিপক্বতা এবং দায়িত্ববোধ অনুভব করে তাদের জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা ছোটদের সঙ্গে ভাগাভাগি করার <ref name=":162" />। এই ধরনের আলোচনায় শিক্ষার্থীরা এমন ভাষা ব্যবহার করার চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয় যা অন্যদের বোধগম্য হয় <ref name=":162" />। একটি প্রচলিত উদাহরণ হলো কানাডীয় বিদ্যালয়গুলোর “বড় বন্ধু” প্রোগ্রাম। এখানে উচ্চ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নিম্ন শ্রেণির একজন শিক্ষার্থীকে বছরের জন্য সহায়তা করার জন্য নিযুক্ত করা হয়। বড় বন্ধুরা ছোট বন্ধুদের প্রকল্প, পরামর্শ বা স্কুল ইভেন্টে সাহায্য করতে পারে। এই প্রোগ্রামগুলো কার্যকর কারণ ছোটরা তাদের বড় বন্ধুদের অনুসরণ করে এবং বড়রা তাদের ছোটদের সহায়তা করতে একটি দায়িত্ববোধ অনুভব করে। হ্যাটি (২০০৬) বলেছেন, এই আলোচনা অবশ্যই একজন শিক্ষকের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত অত্যন্ত সংগঠিত কার্যক্রম হওয়া উচিত। এটিতে শিক্ষার্থীরা তাদের দায়িত্ব সম্পর্কে স্পষ্ট থাকে <ref name=":162" />।
==== শ্রেণিকক্ষের পরিবেশ ====
একটি শ্রেণিকক্ষ যেখানে শিক্ষার্থীরা প্রশ্ন করতে এবং তাদের ধারণা ভাগ করতে নিরাপদ বোধ করে, তা সমালোচনামূলক চিন্তাকে উৎসাহিত করার জন্য অত্যন্ত মূল্যবান। গবেষণায় দেখা গেছে, যখন শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষের সংগঠন ও কার্যক্রম পরিকল্পনায় অংশগ্রহণ করতে পারে, তখন তারা সমালোচনামূলক চিন্তার প্রতি বেশি ঝোঁক দেখায় <ref name=":143" />। এমন শ্রেণিকক্ষে শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষের কার্যপদ্ধতি নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় সক্রিয়ভাবে অন্তর্ভুক্ত করতে উৎসাহিত করেন <ref name=":143" />। একই সঙ্গে, শিক্ষকদের উচিত কাঙ্ক্ষিত ধরণের সমালোচনামূলক চিন্তন নিজেরাই প্রদর্শন করা, যেমন নিজের সিদ্ধান্ত বা কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত নিয়ে সম্মানজনক ও যথাযথভাবে প্রশ্ন তোলা <ref name=":143" />। গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব শ্রেণিকক্ষে শিক্ষকরা উৎসাহী এবং প্রতিক্রিয়াশীল, সেখানে শিক্ষার্থীদের জ্ঞানগত সম্পৃক্ততা তুলনামূলকভাবে বেশি <ref>Garcia, T., & Pintrich, P. R. (1992). Critical Thinking and Its Relationship to Motivation, Learning Strategies, and Classroom Experience. 2-30.</ref>। তাই, শিক্ষকদের উচিত উৎসাহব্যঞ্জক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক হওয়া এবং সম্ভব হলে শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষ পরিকল্পনায় অংশগ্রহণ করতে দেওয়া।
=== সমালোচনামূলক প্রশ্ন ===
গবেষণা ক্রমেই সমর্থন করছে যে সমালোচনামূলক চিন্তা সরাসরি শেখানো সম্ভব <ref name=":7">Halpern, D. F. (2013). Thought and Knowledge: An Introduction to Critical Thinking. Psychology Press.</ref>। শিক্ষায় সমালোচনামূলক প্রশ্নের ব্যবহার বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই প্রশ্নগুলো শেখানোর মাধ্যমে শিক্ষকরা সমালোচনামূলক চিন্তার প্রক্রিয়া দৃশ্যমানভাবে মডেল করেন। শিক্ষায় সমালোচনামূলক চিন্তা শেখানোর অন্যতম সমস্যা হলো শিক্ষার্থীরা কেবল শিক্ষকের সিদ্ধান্ত দেখে, অর্থাৎ তারা দেখতে পায় না যে কীভাবে শিক্ষক এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন <ref name=":182" />। একজন অভিজ্ঞ চিন্তাবিদ অবশ্য প্রশ্ন করে, কিন্তু এই প্রশ্নগুলো সাধারণত মুখে উচ্চারণ করা হয় না। কিন্তু শিক্ষার্থীরা যদি সমালোচনামূলক প্রশ্ন ও চিন্তার কৌশল শিখতে চায়, তাহলে তাদের সেই চিন্তার প্রক্রিয়া দেখতে হবে। প্রশ্ন তৈরির ও তার ধারাবাহিকতা দেখিয়ে চিন্তার ধারাটি বোঝানো সম্ভব।
সমালোচনামূলক প্রশ্ন শেখানোর বিভিন্ন পদ্ধতি আছে। নিচে আলোচিত কাঠামোগুলো সবচেয়ে সুপরিচিত। প্রতিটি কাঠামোর নিজস্ব শক্তি ও দুর্বলতা রয়েছে ব্যবহারযোগ্যতা, জটিলতা এবং সার্বজনীনতার দিক থেকে। প্রতিটি পদ্ধতি সমালোচনামূলক চিন্তাকে আলাদা সংজ্ঞায় সংজ্ঞায়িত করে। ফলে একজন ব্যক্তির সমালোচনামূলক চিন্তার সংজ্ঞা তার নির্দিষ্ট কাঠামোর প্রতি গ্রহণযোগ্যতাকে প্রভাবিত করতে পারে।
[[চিত্র:Sócrates.jpeg|alt= Socrates|থাম্ব|Socrates]]
==== সক্রেটীয় পদ্ধতি ====
পশ্চিমা দৃষ্টিভঙ্গিতে সমালোচনামূলক চিন্তার একটি মূল বৈশিষ্ট্য হলো সমালোচনামূলক প্রশ্নের গুরুত্ব। এটি প্রাচীন গ্রিক সক্রেটীয় পদ্ধতির সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হোক বা নতুন প্রশ্ন তৈরি করা হোক—সমালোচনামূলক চিন্তা সব সময় প্রশ্নের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত, তা স্পষ্ট বা অদৃশ্য, সচেতন বা অসচেতন <ref name=":62" />। ব্রাউন ও কিলি (২০০৬) তাদের সমালোচনামূলক চিন্তার সংজ্ঞা সম্পূর্ণরূপে প্রশ্নের অন্তর্ভুক্তির উপর ভিত্তি করে গড়ে তুলেছেন <ref>Browne, M. N., & Keeley, S. M. (2006). Asking the Right Questions: A Guide to Critical Thinking (8th ed.). Upper Saddle River, N.J: Prentice Hall.</ref>।
সমালোচনামূলক প্রশ্নের উত্তর সব সময় পরীক্ষণযোগ্য নয়। এগুলো যুক্তিপূর্ণ হতে পারে, কিন্তু তারপরও বিকল্প মতামতের অধীন, ফলে সব মতই একযোগে ব্যক্তিগত ও বাস্তবিক হতে পারে। এল্ডার ও পল (২০০৯) এই প্রশ্নগুলোকে তিনটি শ্রেণিতে ভাগ করেছেন <ref name=":52" />:
# এমন প্রশ্ন যেগুলোর সঠিক উত্তর আছে এবং তা জ্ঞান দিয়ে নির্ধারণ করা যায়
# এমন প্রশ্ন যেগুলোর উত্তর ব্যক্তিনির্ভর এবং বিচার করা যায় না
# এমন প্রশ্ন যেগুলো যৌক্তিক এবং প্রমাণভিত্তিক যুক্তি দিয়ে বিচার করা যায়
সমালোচনামূলক প্রশ্ন সম্পর্কিত বইগুলো মূলত সক্রেটীয় পদ্ধতিতে প্রভাবিত এবং ‘ভালো’ ও ‘খারাপ’ প্রশ্নের মধ্যে পার্থক্য করে। ভালো প্রশ্ন হলো যেগুলো প্রাসঙ্গিক এবং যুক্তিনিষ্ঠ, আর খারাপ প্রশ্ন হলো অপ্রাসঙ্গিক, অগভীর এবং এলোমেলোভাবে সাজানো <ref name=":33" /><ref name=":62" />। এল্ডার ও পল (২০০৯) বলেন, “একজন ভালো চিন্তাবিদ এবং খারাপ প্রশ্নকারী একই ব্যক্তি হতে পারে না।”<ref>Elder, L., & Paul, R. (2009). The Art of Asking Essential Questions (5th Edition). Dillon Beach, CA: Foundation for Critical Thinking. p. 3.</ref> অর্থাৎ, কেউ যদি প্রাসঙ্গিক ও যৌক্তিক প্রশ্ন তৈরি করতে না পারে, তবে সে যুক্তিসংগত সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারবে না।
উপরন্তু, শুধুমাত্র সঠিক প্রশ্ন করাই যথেষ্ট নয়। সমালোচনামূলক চিন্তার সঙ্গে জ্ঞানের একটি সরাসরি সম্পর্ক আছে <ref name=":7" />। কেউ হয়তো জ্ঞান রাখে, কিন্তু তা প্রয়োগ করতে জানে না। আবার কেউ প্রশ্ন করতে দক্ষ, কিন্তু সেই উত্তরের গুণমান বিচার করার জন্য প্রয়োজনীয় জ্ঞান নেই।
সক্রেটীয় পদ্ধতিতে সমালোচনামূলক প্রশ্ন শেখানোর ক্ষেত্রে বোঝা গুরুত্বপূর্ণ যে, এখানে কোনো নির্দিষ্ট প্রশ্নের সেট নেই। কারণ প্রয়োজনীয় প্রশ্নগুলো নির্ভর করে প্রাসঙ্গিক প্রেক্ষাপটের উপর। তাই বিভিন্ন লেখক যেসব উদাহরণ দেন, তা একে অপরের থেকে যথেষ্ট আলাদা। তবু কিছু সাধারণ নির্দেশনা অনুসরণ করা যায় <ref>Micarelli, A., Stamper, J., & Panourgia, K. (2016). Intelligent Tutoring Systems: 13th International Conference, ITS 2016, Zagreb, Croatia, June 7-10, 2016. Proceedings. Springer.</ref>:
# পরিস্থিতি, বিষয়বস্তু, মতামত এবং সিদ্ধান্ত চিহ্নিত করতে ও বুঝতে প্রশ্ন ব্যবহার করা
# অনুমান, অস্পষ্টতা, দ্বন্দ্ব, বা বিভ্রান্তি খুঁজে বের করতে প্রশ্ন করা
# ধারণাগুলোর প্রভাব মূল্যায়নে প্রশ্ন ব্যবহার করা
সক্রেটীয় পদ্ধতির প্রথম অংশ হলো তথ্য সংগ্রহ। এখানে প্রশ্ন করে গুরুত্বপূর্ণ বিশদ জানা যায়, ধারণা স্পষ্ট হয়, এবং উদ্দেশ্য নির্ধারণ করা যায়। দ্বিতীয় অংশে প্রথম অংশের তথ্য ব্যবহার করে ধারণার যথার্থতা যাচাইয়ের জন্য গভীর বিশ্লেষণ করা হয়। তৃতীয় অংশে প্রশ্নের মাধ্যমে ধারণাগুলোর ফলাফল নিয়ে চিন্তা করা হয়।
কনকলিন (২০১২) এই তিন অংশকে ছয় ভাগে ভাগ করেছেন <ref name=":8">Conklin, W., & Teacher Created Materials. (2012). Strategies for Developing Higher-Order Thinking Skills, Grades 6 - 12. Shell Education.</ref>:
# বোঝার জন্য প্রশ্ন করা
# অনুমান নির্ধারণের জন্য প্রশ্ন করা
# কারণ / প্রমাণ খুঁজে বের করার জন্য প্রশ্ন করা
# দৃষ্টিভঙ্গি নির্ধারণের জন্য প্রশ্ন করা
# ফলাফল নির্ধারণে প্রশ্ন করা
# প্রদত্ত প্রশ্নটির মূল্যায়নে প্রশ্ন করা
প্রতিটি অংশের জন্য কিছু নমুনা প্রশ্ন এখানে দেওয়া হলো:<ref><nowiki>http://www.janinesmusicroom.com/socratic-questioning-part-i-the-framework.html</nowiki></ref>
বোঝার জন্য প্রশ্নসমূহ:
* আপনি তা কেন ভাবছেন?
* আপনি এই বিষয়ে এতদূর কী পড়েছেন?
* এটি আপনি এখন যা পড়ছেন তার সাথে কীভাবে সম্পর্কিত?
ধারণা নির্ধারণকারী প্রশ্নসমূহ:
* আপনি কীভাবে এই ধারণাটি যাচাই করতে পারেন?
* আর কী ধরা যেতে পারে?
* এ বিষয়ে আপনার মত কী? আপনি কি একমত, না কি অসম্মত?
কারণ / প্রমাণ আবিষ্কারের প্রশ্নসমূহ:
* আপনি কীভাবে নিশ্চিত হতে পারেন?
* এটা কেন ঘটছে?
* আপনার মতকে সমর্থন করার জন্য আপনার কাছে কী প্রমাণ আছে?
দৃষ্টিভঙ্গি নির্ধারণকারী প্রশ্নসমূহ:
* আপনি এই যুক্তিটিকে আরেকভাবে কীভাবে দেখতে পারেন?
* কোন দৃষ্টিভঙ্গিটি ভালো?
পরিণতি নির্ধারণকারী প্রশ্নসমূহ:
* এটি আপনার উপর কী প্রভাব ফেলে?
* এর কী প্রভাব রয়েছে?
কোন প্রশ্ন মূল্যায়নের জন্য প্রশ্নসমূহ:
* আমাকে এই প্রশ্নটি কেন জিজ্ঞাসা করা হয়েছে?
* কোন প্রশ্নগুলো সবচেয়ে আকর্ষণীয় উত্তর দিয়েছে?
* আর কী প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা উচিত?
লেখার ওপর নির্ভর করে, সক্রেটিক পদ্ধতি অত্যন্ত জটিল হতে পারে। এটি শিক্ষকদের জন্য এটি প্রয়োগ করাকে চ্যালেঞ্জিং করে তোলে। কনক্লিন (২০১২) বলেন, একজন শিক্ষককে এই ধরনের প্রশ্ন আগেই পরিকল্পনা করতে হবে, পাঠ চলাকালীন তাৎক্ষণিকভাবে তৈরি করার উপর নির্ভর না করে <ref name=":82" />।
[[চিত্র:Blooms_rose.svg|alt= Bloom's Taxonomy|থাম্ব|Bloom's Taxonomy]]
==== ব্লুম’স ট্যাক্সোনমি ====
ব্লুম’স ট্যাক্সোনমি প্রথম তৈরি হয় ১৯৫৬ সালে, শিক্ষার্থীদের উচ্চস্তরের চিন্তাভাবনা মূল্যায়নের জন্য এবং জ্ঞানমূলক শিক্ষাগত লক্ষ্য নির্ধারণের উদ্দেশ্যে <ref>Bloom, B. S., Krathwohl, D. R., & Masia, B. B. (1984). Taxonomy of educational objectives: the classification of educational goals. Longman.</ref>। পরবর্তীতে এটি রূপান্তরিত হয়ে সমালোচনামূলক চিন্তনের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য একটি কার্যকরী সরঞ্জাম হয়ে ওঠে, বিশেষ করে সমালোচনামূলক প্রশ্নের মাধ্যমে <ref>Blosser, P. E. (1991). How to Ask the Right Questions. NSTA Press.</ref>। এই সমালোচনামূলক প্রশ্নগুলো ব্লুম’স শ্রেণিবিন্যাসের বোঝা, প্রয়োগ, বিশ্লেষণ, সংকলন এবং মূল্যায়ন পর্যায়ের সাথে সম্পর্কিত। এই শ্রেণিগুলো সক্রেটিক পদ্ধতির সাথে মিল খুঁজে পাওয়া যায়, যেমন বোঝা, বিশ্লেষণ এবং মূল্যায়নের জন্য প্রশ্ন করার গুরুত্ব। মুন (২০০৭) মনে করেন, “মূল্যায়ন”, “প্রতিফলন” এবং “বোঝা” সমালোচনামূলক চিন্তনের মূল উপাদান <ref name=":03" />। এটি সমালোচনামূলক চিন্তার ধারণায় অবশ্যই অন্তর্ভুক্ত হওয়া উচিত। একই সময়ে, ব্লুম’স ট্যাক্সোনমি একটি স্বাভাবিক প্রশ্নমালা তৈরি করে যা বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে মানিয়ে নেওয়া যায় <ref>Wang, J.-F., & Lau, R. (2013). Advances in Web-Based Learning -- ICWL 2013: 12th International Conference, Kenting, Taiwan, October 6-9, 2013, Proceedings. Springer.</ref>।
একটি উদাহরণ হিসেবে, একজন শিক্ষক নিউইয়র্কের একটি স্পিকইজি বারের ছবি ব্যবহার করেন। ব্লুম’স ট্যাক্সোনমি ব্যবহার করে শিক্ষক নিম্নলিখিত সমালোচনামূলক প্রশ্নগুলো করতে পারেন এবং তার মডেল দিতে পারেন <ref name=":34" />:
# জ্ঞান: আপনি ছবিতে কী দেখছেন?
# অনুধাবন: এই ধরনের জায়গায় মানুষ কী করে?
# বিশ্লেষণ: ছবিতে এত পুলিশ কেন আছে?
# প্রয়োগ: বর্তমানে আমরা এ ধরনের কোন পরিস্থিতি দেখতে পাই?
# সংকলন: যদি এমন আচরণ নিষিদ্ধকারী কোনো আইন না থাকতো?
# মূল্যায়ন: আপনি যদি এই লোকগুলোর একজন হতেন, তাহলে কেমন অনুভব করতেন? কেন?
[[চিত্র:Depth_of_Knowledge.png|alt=Norman Webb's Depth of Knowledge|থাম্ব|Norman Webb's Depth of Knowledge]]
==== নরম্যান ওয়েবের জ্ঞানের গভীরতা (ডিওকে) ====
ওয়েবের জ্ঞানের গভীরতা (ডিওকে) ট্যাক্সোনমি তৈরি হয় ২০০২ সালে ব্লুম’স ট্যাক্সোনমির প্রতিক্রিয়া হিসেবে <ref name=":9">Gregory, G., & Kaufeldt, M. (2015). The Motivated Brain: Improving Student Attention, Engagement, and Perseverance. ASCD.</ref>। ব্লুম’স ট্যাক্সোনমির সাথে এর বিপরীতে, ওয়েবের ডিওকে চিন্তাভাবনাকে মূল্যায়ন করে তার জটিলতার দিক থেকে, কেবলমাত্র কষ্টসাধ্যতার ভিত্তিতে নয় <ref name=":9" />।
ওয়েবের ডিওকের চারটি স্তর:
# স্মরণ ও পুনরুৎপাদন
# দক্ষতা ও ধারণার সাথে কাজ করা
# স্বল্পমেয়াদী কৌশলগত চিন্তাভাবনা
# বিস্তৃত কৌশলগত চিন্তাভাবনা
স্তর ১ ব্লুম’স ট্যাক্সোনমির তথ্য মনে রাখা এবং পুনরায় স্মরণ করার স্তরের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ। এই স্তরের সমালোচনামূলক প্রশ্ন হতে পারে:
* মূল চরিত্রের নাম কী?
* অলিভার টুইস্ট ফ্যাজিনকে কী জিজ্ঞাসা করেছিল?
স্তর ২-এ বিভিন্ন দক্ষতা অন্তর্ভুক্ত যেমন শ্রেণিবিন্যাস, তুলনা, পূর্বাভাস, তথ্য সংগ্রহ ও উপস্থাপন। এসব দক্ষতা থেকে নিচের প্রশ্নগুলো আসতে পারে:
* এই দুটি ধারণার মধ্যে কী মিল-অমিল?
* আপনি কীভাবে এই বস্তুগুলো শ্রেণিবিন্যাস করবেন?
* আপনি কীভাবে এই পাঠের সারাংশ তৈরি করবেন?
স্তর ৩ বিশ্লেষণ ও মূল্যায়নের সাথে সম্পর্কিত। এটি আবার ব্লুম’স ট্যাক্সোনমির সাথে মিলে যায়।
* আপনি কী সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেন?
* এটি ব্যাখ্যা করতে আপনি কী তত্ত্ব দাঁড় করাতে পারেন?
* সবচেয়ে ভালো উত্তর কোনটি? কেন?
একই সময়ে, ডিওকের স্তর ৩ সক্রেটিক পদ্ধতির সাথে মিল খুঁজে পায় কারণ এখানে ব্যক্তিকে নিজের মত পক্ষে যুক্তি ও প্রমাণ দিয়ে কথা বলতে হয়।
স্তর ৪ হলো সবচেয়ে জটিল এবং চ্যালেঞ্জিং। এটি আন্তঃবিষয়ক সংযোগ তৈরি করা এবং নতুন ধারণা / সমাধান তৈরি করার উপর জোর দেয়।
যেহেতু ডিওকে প্রতিটি স্তরে আরও জটিল হয়ে ওঠে এবং যুক্তি ও প্রমাণ ব্যবহার করে নিজ অবস্থান সমর্থনের প্রয়োজন পড়ে, এটি সক্রেটিক পদ্ধতির সাথে সাদৃশ্য তৈরি করে। একই সাথে, যেহেতু এটি সমালোচনামূলক চিন্তা মূল্যায়নের মান নির্ধারণে ব্যবহৃত হয়, এটি ব্লুম’স ট্যাক্সোনমির সাথে সাদৃশ্যযুক্ত।
==== উইলিয়ামস মডেল ====
[[চিত্র:KWL_Chart.jpg|alt= The KWL method shares some similarities to the 'wonder' aspect of the Williams Model|থাম্ব|The KWL method shares some similarities to the 'wonder' aspeসমালোচনামূলক চিন্তা of the Williams Model]]
উইলিয়ামস মডেলটি ফ্র্যাঙ্ক উইলিয়ামস ১৯৭০-এর দশকে তৈরি করেন <ref name=":82" />। অন্যান্য পদ্ধতির এর বিপরীতে, উইলিয়ামস মডেল তৈরি করা হয়েছিল সৃজনশীল চিন্তাভাবনা উৎসাহিত করার জন্য সমালোচনামূলক প্রশ্ন ব্যবহার করে <ref name=":82" />। এই মডেল নিম্নলিখিত উপাদানগুলো নিয়ে গঠিত:
* সাবলীলতা
* নমনীয়তা
* বিস্তারিততা
* মৌলিকতা
* কৌতূহল
* ঝুঁকি নেওয়া
* জটিলতা
* কল্পনাশক্তি
সাবলীলতা সংক্রান্ত সমালোচনামূলক প্রশ্নগুলো এক ধরনের ব্রেইনস্টর্মিং এর মতো। এখানে প্রশ্নগুলো ধারণা ও বিকল্প উত্পন্ন করার জন্য তৈরি করা হয় <ref name=":82" />। ‘নমনীয়তা’র প্রশ্ন বিদ্যমান ধারণার বিভিন্ন রূপ উত্পন্ন করে। ‘বিস্তার’ প্রশ্ন বিদ্যমান ধারণার উপর নির্মাণ করে এবং বিস্তারিততা বাড়ায়। ‘মৌলিকতা’ প্রশ্ন নতুন ধারণা তৈরির দিকে পরিচালিত করে। কৌতূহল সম্পর্কিত অংশ KWL পদ্ধতির ‘Wonder’ ধাপের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ <ref>Carol, K., & Sandi, Z. (2014). Q Tasks, 2nd Edition: How to empower students to ask questions and care about answers. Pembroke Publishers Limited.</ref>। ‘ঝুঁকি নেওয়া’ প্রশ্ন পরীক্ষামূলক চিন্তা উসকে দেয়। যদিও ‘জটিলতা’ শব্দটি ‘বিস্তার’-এর মতো শোনায়, এটি বিশৃঙ্খলার মধ্যে থেকে ক্রম বের করা, সংযোগ তৈরি করা, এবং তথ্যের ঘাটতি পূরণের বিষয়ে। সর্বশেষ উপাদান হলো ‘কল্পনা’। এটি প্রশ্ন ব্যবহার করে কল্পনাশক্তির মাধ্যমে ভাবতে সহায়তা করে।
[[চিত্র:Wiggins_&_McTighe’s_Six_Facets_of_Understanding_.png|alt=Wiggins & McTighe’s Six Facets of Understanding|থাম্ব|উইগিন্স এবং ম্যাকটাইগের বোঝাপড়ার ছয়টি দিক]]
==== উইগিন্স ও ম্যাকটাই-এর ছয়টি অনুধাবন দিক ====
উইগিন্স ও ম্যাকটাই-এর ‘ছয়টি অনুধাবনের দিক’ সমালোচনামূলক চিন্তার গভীর অনুধাবনের উপর ভিত্তি করে তৈরি <ref name=":10">Doubet, K. J., & Hockett, J. A. (2015). Differentiation in Middle and High School: Strategies to Engage All Learners. ASCD.</ref>। এই পদ্ধতি শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের জন্য প্রশ্ন তৈরি করতে ব্যবহার করেন। এটি সমালোচনামূলক চিন্তনকে উৎসাহ দেয় <ref name=":10" />। এই ছয়টি দিক হলো: ব্যাখ্যা, ব্যাখ্যাত্মকতা, প্রয়োগ, দৃষ্টিভঙ্গি, সহানুভূতি এবং আত্ম-জ্ঞান <ref name=":11"><nowiki>http://www.educ.kent.edu/fundedprojects/tspt/units/sixfacets.htm</nowiki></ref>।
‘ব্যাখ্যা’ দিকটিতে ‘কেন’ এবং ‘কীভাবে’ প্রশ্নগুলো আধিপত্য করে। এটি তত্ত্ব এবং যুক্তি তৈরি করতে সহায়ক <ref name=":12">McTighe, J., & Wiggins, G. (2013). Essential Questions: Opening Doors to Student Understanding (1st ed.). Alexandria, Va. USA: Association for Supervision & Curriculum Development.</ref>:
* এটা কীভাবে ঘটল? আপনি কেন তাই মনে করেন?
* এটি অন্য তত্ত্বের সাথে কীভাবে সংযুক্ত?
ব্যাখ্যাত্মক প্রশ্নগুলো ‘পাঠের ভিতরে’ পড়া, উপমা বা রূপক তৈরি করা এবং ধারণাকে ব্যাখ্যা করার জন্য লিখিত বা চিত্রিত পরিস্থিতি তৈরি করতে সাহায্য করে। উদাহরণস্বরূপ:
* আপনি কীভাবে এই ধারণাটি অন্যভাবে ব্যাখ্যা করবেন?
* আপনি কেন মনে করেন, উভয় পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব আছে?
* এটি জানা কেন গুরুত্বপূর্ণ?
প্রয়োগ সম্পর্কিত প্রশ্নগুলো জ্ঞান প্রয়োগ করার বিষয়ে। এর একটি অংশ পূর্বানুমান নির্ভর করে পূর্ব অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে এবং আরেকটি অংশ অতীত থেকে শেখার বিষয়।
* আমরা কীভাবে এটি আবার ঘটতে দেওয়া থেকে বিরত থাকতে পারি?
* আপনি কী মনে করেন, পরবর্তীতে কী হবে?
* এটি কীভাবে কাজ করে?
দৃষ্টিভঙ্গি প্রশ্নগুলো অন্যের দৃষ্টিভঙ্গি বোঝা এবং তাদের দৃষ্টিভঙ্গির বিশ্লেষণ ও সমালোচনার দিকে মনোনিবেশ করে <ref name=":11" />। উদাহরণস্বরূপ:
* এই বিষয়ে বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি কী কী?
* কবিতায় কে কথা বলছে?
* কার দৃষ্টিভঙ্গি এখানে প্রকাশিত হয়েছে?
* অন্য একজনের দৃষ্টিতে এটি কীভাবে দেখাত?
সহানুভূতিমূলক প্রশ্নগুলো অন্যের অবস্থান অনুধাবনের মাধ্যমে মনের উন্মুক্ততা তৈরি করে, যেন অন্যের জায়গায় নিজেকে কল্পনা করা যায়।
* আপনি যদি একই অবস্থায় থাকতেন, তাহলে কেমন অনুভব করতেন?
* ঐ পরিস্থিতিতে বাস করলে কেমন হতো?
* কেউ যদি আপনার পরিবারের সাথে এটা করত, আপনি কীভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাতেন?
আত্ম-জ্ঞানভিত্তিক প্রশ্নগুলো আত্ম-অনুধাবনের দিকে পরিচালিত করে এবং নিজের পক্ষপাত, মূল্যবোধ এবং পূর্বাগ্রহগুলো চিনতে সাহায্য করে যা অন্যদের বিচার করার সময় প্রভাব ফেলে <ref name=":11" />। উদাহরণস্বরূপ:
* আমার জীবন এই বিষয়ে আমার দৃষ্টিভঙ্গিকে কীভাবে গঠন করেছে?
* আমি আসলে ঐ সম্প্রদায়ের মানুষের জীবনের সম্পর্কে কী জানি?
* আমি কী জ্ঞান বা অভিজ্ঞতার ঘাটতি অনুভব করি?
* আমি যেটা জানি, তা কোথা থেকে এল? সেই তথ্য বা ধারণার উৎস কী?
‘ছয়টি অনুধাবন দিক’-এর মধ্যে থাকা সমস্ত প্রশ্নের বৈশিষ্ট্য নিম্নরূপ <ref name=":12" />:
# সেগুলো উন্মুক্ত
# গভীর চিন্তার প্রয়োজন
# সমালোচনামূলক চিন্তন জরুরি
# জ্ঞান হস্তান্তরকে উৎসাহ দেয়
# এগুলো অনুস্মারক প্রশ্ন তৈরি করে
# এর উত্তর প্রমাণ সহ প্রতিষ্ঠিত হতে হয়
একটি শ্রেণিকক্ষ পরিবেশে সমালোচনামূলক প্রশ্ন প্রয়োগের উদাহরণ দেখতে চাইলে, এই পাতার নিচের বহিঃসংযোগ অংশে দেখুন।
= সমস্যা সমাধান =
প্রতিদিনের জীবনে আমরা নানা সমস্যায় ঘেরা থাকি, যেগুলোর সমাধান আমাদের লক্ষ্য পূরণে গুরুত্বপূর্ণ এবং আমাদের মনোযোগ দাবি করে <ref name=":20">Bruning, G.J. Schraw & M.M. Norby (2011) Cognitive Psychology and Instruction (5th Ed). New York: Pearson.</ref>। আমরা এমন সমস্যার মুখোমুখি হতে পারি যেমন: কর্মস্থলে পৌঁছানোর জন্য সেরা রুট নির্ধারণ করা, ইন্টারভিউয়ের জন্য কী পরা উচিত, একটি যুক্তিভিত্তিক প্রবন্ধে ভালো করা, অথবা একটি দ্বিঘাত সমীকরণের সমাধান খুঁজে বের করা। একটি পরিস্থিতিকে সমস্যা হিসেবে বিবেচনা করা হয় যখন সেই সমস্যার সমাধান চাওয়া হয়, কিন্তু সমাধানটি সমাধানকারী ব্যক্তির কাছে স্পষ্ট নয় <ref>Anderson, J. R. Cognitive Psychology and Its Implications. New York: Freeman, 1980</ref>। '''<u>সমস্যা সমাধান</u>''' হচ্ছে এই সমস্যাগুলোর সমাধান খুঁজে বের করার প্রক্রিয়া <ref name=":21">Mayer, R. E., & Wittrock, R. C. (2006). Problem solving. In P. A. Alexander & P. H. Winne (Eds.), Handbook of educational psychology (2nd ed., pp. 287–304). Mahwah, NJ: Erlbaum.</ref>। '''''যদিও এরা সম্পর্কিত, সমালোচনামূলক চিন্তন মূলত সমস্যা সমাধানের চেয়ে আলাদা। সমালোচনামূলক চিন্তা একটি প্রক্রিয়া যা সমস্যা সমাধানে প্রয়োগ করা যেতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, শিক্ষার্থীরা এমন অনির্দিষ্ট সমস্যার মুখোমুখি হলে সমালোচনামূলক চিন্তায় জড়িয়ে পড়তে পারে যেখানে অনেক বিকল্প বা সম্ভাব্য উত্তর বিবেচনা করতে হয়। মূলত। এরা সমালোচনামূলকভাবে চিন্তা করতে সক্ষম, তারা কার্যকরভাবে সমস্যা সমাধান করতে সক্ষম <ref>Snyder, M. J., & Snyder, L. G. (2008). Teaching critical thinking and Problem solving skills. Delta Pi Epsilon Journal, L(2), 90-99.</ref>।'''''
[[চিত্র:T_vs_PBL.png|থাম্ব|সমস্যাভিত্তিক শেখা ঐতিহ্যবাহী ধারার চেয়ে আলাদা। কারণ এটি শিক্ষার্থীদের একটি প্রশ্নের সমাধানের দিকে মনোনিবেশ করতে সহায়তা করে।]]
এই অধ্যায়ে প্রথমে ''[[চিন্তন ও নির্দেশনা/সমস্যা সমাধান, সমালোচনামূলক চিন্তন ও যুক্তি#glos Well-defined Problems|সুস্পষ্ট সমস্যা]]'' এবং ''[[চিন্তন ও নির্দেশনা/সমস্যা সমাধান, সমালোচনামূলক চিন্তন ও যুক্তি#glos Ill-defined Problems|অনির্দিষ্ট সমস্যা]]'' এর মধ্যে পার্থক্য করা হবে, এরপর সমস্যাগুলোর ধারণা তৈরি ও চিত্রায়নের ব্যবহার আলোচনা করা হবে এবং শেষে মানসিক স্থবিরতা কীভাবে সফল সমস্যা সমাধানে বাধা হতে পারে তা ব্যাখ্যা করা হবে।
=== সুস্পষ্ট ও অনির্দিষ্ট সমস্যা ===
সমস্যাগুলোকে সাধারণত দুটি ধরনের মধ্যে ভাগ করা যায়: অনির্দিষ্ট অথবা সুস্পষ্ট <ref name=":20" />। একটি সুস্পষ্ট সমস্যার উদাহরণ হতে পারে একটি বীজগাণিতিক সমস্যা (যেমন: ২x - ২৯ = ৭)। এখানে x-এর মান বের করতে হবে। আরেকটি উদাহরণ হতে পারে একটি টার্কির ওজন কিলোগ্রাম থেকে পাউন্ডে রূপান্তর করা। উভয় ক্ষেত্রেই এটি সুস্পষ্ট সমস্যা হিসেবে বিবেচিত হয় কারণ এখানে একটি নির্দিষ্ট সমাধান রয়েছে এবং সেই সমাধান খুঁজে পাওয়ার একটি স্পষ্ট পদ্ধতি রয়েছে।
এর বিপরীতে, অনির্দিষ্ট সমস্যা হলো এমন সব সমস্যা যেগুলো আমরা দৈনন্দিন জীবনে মোকাবিলা করি। এখানে লক্ষ্য অস্পষ্ট এবং তথ্যগুলো সাংঘর্ষিক, অসম্পূর্ণ বা অনির্ণীত থাকে <ref name=":22">Voss, J. F. (1988). Problem solving and reasoning in ill-structured domains. In C. Antaki (Ed.), Analyzing everyday explanation: A casebook of methods (pp. 74-93). London: SAGE Publications.</ref>। অনির্দিষ্ট সমস্যার একটি উদাহরণ হতে পারে “জলবায়ু পরিবর্তনের সমাধান কীভাবে করা যায়?” অথবা “দারিদ্র্য নিরসনের উপায় কী হওয়া উচিত?” কারণ এই প্রশ্নগুলোর একক কোনো সঠিক উত্তর নেই। এই সমস্যাগুলোর বিভিন্ন সমাধানের সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ এই সমস্যাগুলোর জন্য কোনো সর্বজনগ্রাহ্য কৌশল নেই। মানুষ এসব সমস্যার সমাধান ভিন্নভাবে করে থাকে, তাদের ধারণা, তত্ত্ব প্রয়োগ বা মূল্যবোধ অনুসারে<ref name=":31">Pretz, J. E., Naples, A. J., & Sternberg, R. J. (2003). Recognizing, defining, and representing problems. In J. E. Davidson and R. J. Sternberg (Eds.), The psychology of problem solving (pp. 3–30). Cambridge, UK: Cam- bridge University Press.</ref>। তদুপরি, প্রতিটি সমাধানের নিজস্ব শক্তি ও দুর্বলতা রয়েছে <ref name=":31" />।
{| border="1"
|+'''অনির্দিষ্ট বনাম সুস্পষ্ট সমস্যা'''
!অনির্দিষ্ট
!সুস্পষ্ট
|-
|বর্তমান অবস্থা স্পষ্ট নয়, লক্ষ্য অস্পষ্ট, অনুমোদিত পদ্ধতির সীমা অনির্দিষ্ট এবং একাধিক সমাধান থাকতে পারে <ref name=":22" />।
|বর্তমান অবস্থা স্পষ্ট, লক্ষ্য স্পষ্টভাবে নির্ধারিত, অনুমোদিত পদ্ধতি নির্দিষ্ট এবং একটি নির্দিষ্ট সমাধান রয়েছে <ref name=":22" />।
|-
|উদাহরণ: আমরা কীভাবে বৈশ্বিক উষ্ণায়নের সমাধান করব?
|উদাহরণ: ৫x = ১০
|-
|''[[চিন্তন ও নির্দেশনা/সমস্যা সমাধান, সমালোচনামূলক চিন্তন ও যুক্তি#glos Argumentation|যুক্তিতর্ক]]'', মনোভাব ও "মেটাকগনিশন" উচ্চ সমস্যা সমাধান স্কোরের পূর্বাভাস দেয় <ref name=":322">Shin, N., Jonassen, D. H., & McGee, S. (2003). Predictors of Well-Structured and Ill-Structured Problem Solving in an Astronomy Simulation. Journal Of Research In Science Teaching, 40(1), 6-33.8</ref>
|বিষয়ভিত্তিক জ্ঞান ও যৌক্তিকতা দক্ষতা সমস্যা সমাধানের স্কোরে প্রভাব ফেলে <ref name=":322" />।
|}
সারণি ১: সুস্পষ্ট এবং অনির্দিষ্ট সমস্যার পার্থক্য সংক্ষেপে উপস্থাপন করে।
==== অনির্দিষ্ট এবং সুস্পষ্ট সমস্যার সমাধানে পার্থক্য ====
প্রাথমিক পর্যায়ে, গবেষকরা মনে করতেন যে উভয় ধরনের সমস্যা একইভাবে সমাধান করা যায় <ref>Simon, D. P. (1978). Information processing theory of human problem solving. In W. K. Estes (Ed.), Handbook of learning and cognitive process. Hillsdale, NJ: Lawrence Erlbau</ref>, তবে আধুনিক গবেষণাগুলো এই সমাধান প্রক্রিয়ায় কিছু উল্লেখযোগ্য পার্থক্য তুলে ধরেছে।
কিচেনার (১৯৮৩) প্রস্তাব করেন, সুস্পষ্ট সমস্যাগুলোতে '''[[চিন্তন ও নির্দেশনা/সমস্যা সমাধান, সমালোচনামূলক চিন্তন ও যুক্তি#glos Epistemological Beliefs|জ্ঞানতাত্ত্বিক বিশ্বাস]]''' সংক্রান্ত কোনো অনুমান থাকে না <ref name=":20" />। কারণ এদের একটি স্পষ্ট এবং নির্দিষ্ট সমাধান থাকে। এখানে অনির্দিষ্ট সমস্যাগুলোর জন্য এই ধরনের বিশ্বাস প্রয়োজন হয় কারণ তাদের একটি স্পষ্ট এবং নির্দিষ্ট সমাধান নেই <ref>Kitchener, K.S., Cognition, metacognition, and epistemic cognition. Human Development, 1983. 26: p. 222-232.</ref>। এই ধারণার সমর্থনে, শ্র, ডাঙ্কল এবং বেন্ডিক্সেন ২০০ অংশগ্রহণকারীর উপর একটি গবেষণা করেন। এখানে তারা দেখতে পান সুস্পষ্ট সমস্যায় পারফর্ম করার দক্ষতা অনির্দিষ্ট সমস্যায় দক্ষতা প্রদর্শনের পূর্বাভাস নয়। কারণ অনির্দিষ্ট সমস্যা জ্ঞানের বিষয়ে ভিন্ন বিশ্বাস সক্রিয় করে <ref>Schraw G., Dunkle, M. E., & Bendixen L. D. (1995). Cognitive processes in well-structured and ill-structured problem solving. Applied Cognitive Psychology, 9, 523–538.</ref>।
শিন, জোনাসেন এবং ম্যাকগি (২০০৩) <ref name=":322" /> আরও দেখেছেন যে অনির্দিষ্ট সমস্যা সমাধানে এমন কিছু দক্ষতা কাজে লাগে যা সুস্পষ্ট সমস্যার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয় না। সুস্পষ্ট সমস্যায় বিষয়ভিত্তিক জ্ঞান এবং যৌক্তিকতা সমস্যা সমাধান স্কোরকে প্রভাবিত করে। এখানে অনির্দিষ্ট সমস্যায় যুক্তিতর্ক, মনোভাব এবং '''<u>মেটাকগনিশন</u>''' বেশি প্রভাব ফেলে।
এই অনুসন্ধানের সাথে সঙ্গতি রেখে, চো এবং জোনাসেন (২০০২) <ref>Cho, K. L., & Jonassen, D. H. (2002) The effects of argumentation scaffolds on argumentation and problem solving. Educational Technology: Research & Development, 50(3), 5-22.</ref> দেখিয়েছেন যে অনির্দিষ্ট সমস্যা সমাধানের জন্য দলগুলো আরও বেশি যুক্তিতর্ক ও সমস্যা সমাধানের কৌশল তৈরি করে কারণ তাদেরকে বিভিন্ন সমাধান ও দৃষ্টিভঙ্গি বিবেচনায় নিতে হয়। এর বিপরীতে, একই যুক্তিতর্ক পদ্ধতি সুস্পষ্ট সমস্যার ক্ষেত্রে অংশগ্রহণকারীদের কার্যক্রমে বিঘ্ন ঘটায়। এই গবেষণা দুটি ধরনের সমস্যার সমাধান প্রক্রিয়ায় মৌলিক পার্থক্য নির্দেশ করে।
===== শ্রেণিকক্ষ পরিবেশের প্রভাব =====
সুস্পষ্ট এবং অনির্দিষ্ট সমস্যার মৌলিক পার্থক্য নির্দেশ করে অনির্দিষ্ট সমস্যা সমাধানের জন্য ভিন্ন ধরনের দক্ষতা, কৌশল ও পন্থা দরকার <ref name=":322" />। অথচ অধিকাংশ শিক্ষাগত কার্যক্রম সুস্পষ্ট সমস্যার সমাধানে শিক্ষার্থীদের যুক্ত করে, যেমন পাঠ্যপুস্তকের শেষে থাকা সমস্যা বা মানসম্পন্ন পরীক্ষাগুলোর প্রশ্ন <ref name=":23">Jonassen, D. H. (2000). Revisiting activity theory as a framework for designing student-centered learning environments. In D. H. Jonassen, S. M. Land, D. H. Jonassen, S. M. Land (Eds.) , Theoretical foundations of learning environments (pp. 89-121). Mahwah, NJ, US: Lawrence Erlbaum Associates Publishers.</ref>। দুর্ভাগ্যজনকভাবে, সুস্পষ্ট সমস্যার জন্য ব্যবহৃত কৌশল বাস্তব জীবনের অনির্দিষ্ট সমস্যার ক্ষেত্রে তেমন কার্যকর নয় <ref>Spiro, R. J., Feltovich, P. J., Jacobson, M. J., & Coulson, R. L. (1992). Cognitive flexibility, constructivism, and hypertext: Random access instruction for advanced knowledge acquisition in ill-structured domains. In T. M. Duffy, D. H. Jonassen, T. M. Duffy, D. H. Jonassen (Eds.) , Constructivism and the technology of instruction: A conversation (pp. 57-75). Hillsdale, NJ, England: Lawrence Erlbaum Associates, Inc.</ref>। কারণ সুস্পষ্ট সমস্যার জন্য ব্যবহৃত সরলীকৃত কৌশলগুলোর বাস্তব জীবনের সমস্যার সাথে প্রায় কোনো মিল নেই <ref name=":23" />
এটি নির্দেশ করে শ্রেণিকক্ষ এমনভাবে পুনর্গঠন করা উচিত যা শিক্ষার্থীদের অনির্দিষ্ট সমস্যার সমাধানে সহায়তা করে। এর একটি উপায় হতে পারে শিক্ষার্থীদের এমন প্রশ্ন জিজ্ঞেস করা যা বাস্তব জীবনের সমস্যার প্রতিফলন করে <ref name=":24">Barrows, H. S. (1996). “Problem-based learning in medicine and beyond: A brief overview.” In L. Wilkerson & W. H. Gijselaers (Eds.), Bringing ''[[চিন্তন ও নির্দেশনা/সমস্যা সমাধান, সমালোচনামূলক চিন্তন ও যুক্তি#glos Problem-Based Learning|Problem-Based Learning]]'' to higher education: Theory and practice (pp. 3-12). San Francisco: Jossey Bass.</ref>। এই পদ্ধতিকে বলা হয় '''<u>সমস্যাভিত্তিক শিক্ষা</u>''' এবং এই শ্রেণিকক্ষ কাঠামোতে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন উৎস থেকে প্রমাণ, তথ্য ও উপাত্ত সংগ্রহ করে প্রশ্নের সমাধান খুঁজে বের করার সুযোগ পায় <ref name=":25">(Barron, B., & Darling-Hammond, L. (2008). Teaching for meaningful learning: A review of research on inquiry-based and cooperative learning. Powerful Learning: What We Know About Teaching for Understanding (pp. 11-70). San Francisco, CA: Jossey-Bass.)</ref>। এতে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি ও ব্যাখ্যা বিবেচনা করে তথ্য বিশ্লেষণ এবং উপস্থাপন শেখে <ref name=":25" />।
====== শ্রেণিকক্ষের কাঠামো ======
সমস্যাভিত্তিক শিক্ষায়, শিক্ষার্থীরা ছোট ছোট দলে কাজ করে যেখানে তারা তাৎপর্যপূর্ণ সমস্যার অনুসন্ধান করে, সমস্যার সমাধানে প্রয়োজনীয় তথ্য চিহ্নিত করে এবং কার্যকর সমাধানের পদ্ধতি নির্ধারণ করে <ref name=":24" />। শিক্ষার্থীরা এই কৌশলগুলো প্রয়োগ করে, তাদের ফলাফল বিশ্লেষণ করে এবং নতুন কৌশল উদ্ভাবন করে যতক্ষণ না তারা কার্যকর সমাধানে পৌঁছায় <ref name=":24" />। এই শ্রেণিকক্ষ কাঠামোতে শিক্ষক শিক্ষণ প্রক্রিয়াকে পরিচালনা করেন, অংশগ্রহণে উৎসাহ দেন এবং শিক্ষার্থীদের বিশ্লেষণ ও সমালোচনামূলক চিন্তা বাড়াতে প্রশ্ন করেন <ref name=":24" />। এছাড়াও শিক্ষকরা প্রথাগত লেকচার এবং ব্যাখ্যা প্রদান করতে পারেন যা শিক্ষার্থীদের অনুসন্ধান ভিত্তিক শিক্ষায় সহায়তা করে <ref name=":24" />।
সমস্যাভিত্তিক শিক্ষার কার্যকারিতা সমর্থনে ডচি, সেজার্স, ভ্যান ডেন বোশে এবং গিজবেলস (২০০৩) পরিচালিত একটি মেটা-বিশ্লেষণ দেখিয়েছে যে সমস্যাভিত্তিক শিক্ষা ঐতিহ্যবাহী শিক্ষার চেয়ে বেশি কার্যকর, বিশেষত নমনীয় সমস্যা সমাধান, জ্ঞানের প্রয়োগ এবং অনুমান তৈরির ক্ষেত্রে <ref>Dochy, F., Segers, M., Van den Bossche, P., & Gijbels, D. (2003). Effects of problembased learning: A meta-analysis. Learning and Instruction, 13, 533–568.</ref>।
অধিকন্তু, উইলিয়ামস, হেমস্ট্রিট, লিউ এবং স্মিথ (১৯৯৮) করেছিলেন যে এই পদ্ধতি বিজ্ঞানে ধারণাগত বোঝাপড়ায় আরও উন্নতি সাধন করে<ref>Williams, D., Hemstreet, S., Liu, M.& Smith, V. (1998). Examining how middle school students use problem-based learning software. Unpublished paper presented at the ED-Media/ED Telecom ‘98 world Conference on Educational Multimedia and Hypermedia & World Conference on Educational Telecommunications, Freiberg, Germany.</ref>। সর্বশেষে গ্যালাঘের, স্টেপিয়েন, এবং রোজেনথাল (১৯৯২) দেখেছেন, প্রচলিত পদ্ধতি বনাম প্রকল্প-ভিত্তিক পদ্ধতির তুলনায়, সমস্যা-ভিত্তিক শিক্ষায় শিক্ষার্থীরা সমস্যাকে সংজ্ঞায়িত করার দক্ষতা প্রদর্শন করে<ref>Gallagher, S. A., Stepien, W. J., & Rosenthal, H. (1992). The effects of problem based learning on problem solving. Gifted Child Quarterly, 36, 195–200. Gertzman, A., & Kolodner, J. L.</ref>। এই গবেষণাগুলি সমস্যা-ভিত্তিক শিক্ষার সুবিধাগুলি তুলে ধরে যা বিজ্ঞানে সমস্যা বোঝা ও সংজ্ঞায়িত করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। সমস্যা সংজ্ঞায়নের ইতিবাচক প্রভাবের পরিপ্রেক্ষিতে, এই শিক্ষাগত পদ্ধতি পরবর্তী উপ-ভাষ্য 'সমস্যার ধারণাকরণ' বিষয়েও প্রযোজ্য হতে পারে।
=== সমস্যা সমাধানের ধাপ ===
সমস্যা সমাধান সংক্রান্ত গবেষণায় সাধারণভাবে পাঁচটি ধাপ চিহ্নিত করা হয়েছে: (১) সমস্যা শনাক্তকরণ, (২) সমস্যা উপস্থাপন, (৩) উপযুক্ত কৌশল নির্বাচন, (৪) কৌশল বাস্তবায়ন, এবং (৫) সমাধান মূল্যায়ন<ref name=":202" />। এই আলোচনা সমস্যার প্রথম দুটি ধাপে গুরুত্ব দেবে এবং বিশ্লেষণ করবে কীভাবে এই ধাপগুলো সমস্যা সমাধানে প্রভাব ফেলে।
[[চিত্র:PBL_Cycle.png|থাম্ব|সমস্যা সমাধানের পাঁচটি ধাপ একটি চক্র তৈরি করে যা শিক্ষার্থীদের সর্বোত্তম সমাধান চিন্তার ধারাকে পরিশোধিত করতে সাহায্য করে।]]
==== সমস্যার ধারণাকরণ ====
সমস্যা সমাধানের সবচেয়ে ক্লান্তিকর এবং কঠিন দিকগুলোর একটি হলো সমস্যাটি শনাক্ত করা। কারণ এটি করতে হলে সমস্যাটিকে বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে বিবেচনা করতে হয় এবং খুব তাড়াতাড়ি কোনো এক নির্দিষ্ট সমাধানে পৌঁছানোর প্রবণতা থেকে বিরত থাকতে হয়<ref name=":212" />। তদুপরি, এটি স্পষ্টভাবে সমস্যা নির্ধারণে সময় ব্যয় করাও গুরুত্বপূর্ণ। কারণ কোনো নির্দিষ্ট সমস্যা 'ধারণা করতে' ব্যয় করা সময় এবং সমাধানের মানের মধ্যে একটি সম্পর্ক রয়েছে<ref name=":202" />।
উদাহরণস্বরূপ, নিম্নোক্ত সমস্যাটি বিবেচনা করুন:
''বেকা তার ওভেনে পঁচিশ মিনিটে একটি চকলেট কেক বানিয়েছে। তাকে তিনটি চকলেট কেক বানাতে কতক্ষণ সময় লাগবে?''
বেশিরভাগ মানুষ ২৫ গুণ ৩ করে সমাধানে পৌঁছাবে, কিন্তু যদি সব কেক একসাথে ওভেনে বসানো হয়, তাহলে দেখা যাবে তিনটি কেক বানাতেও একই সময় লাগবে যত সময় লাগে একটি কেক বানাতে। এই উদাহরণটি সমস্যাটি সঠিকভাবে ধারণা করার প্রয়োজনীয়তাকে তুলে ধরে এবং সমাধানে তাড়াহুড়ো না করে সমস্যাটি বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে দেখার প্রয়োজনীয়তাও নির্দেশ করে।
এটি আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যেতে, সমস্যাটি ধারণা করতে নিচের পাঁচটি ধাপ বিশ্লেষণ করুন:
'''পর্যায় ১ - সমস্যা সংজ্ঞায়িত করা'''
{| class="wikitable"
!লক্ষ্য (আমি চাই...)
!বাধা (কিন্তু...)
|-
|'''একটি নতুন গাড়ি কিনতে চাই।'''
!আমি জানি না কোন মডেলটি সবচেয়ে সাশ্রয়ী।
|-
|'''আরও ব্যায়াম করতে চাই।'''
!আমি জানি না কখন সময় পাব।
|-
|'''ভালো চাকরি পেতে চাই।'''
!আমি জানি না আমাকে কী ধরণের পুনঃপ্রশিক্ষণ নিতে হবে।
|}
'''পর্যায় ২ - সমাধানের জন্য আইডিয়া তৈরি'''
{| class="wikitable"
!সমস্যা
!তথ্য যাচাই
|-
|'''আমার একটি নতুন গাড়ি কেনা দরকার।'''
|'''এতে কত টাকা লাগবে?'''
'''আমি কি সত্যিই গাড়ি প্রয়োজন নাকি গণপরিবহন ব্যবহার করতে পারি?'''
'''নতুন গাড়ি ভালো নাকি পুরনো কেনা ভালো হবে?'''
|}
'''পর্যায় ৩ - একটি সমাধান নির্বাচন করুন'''
{| class="wikitable"
![[চিত্র:Stage_4.png|ফ্রেমহীন]]
|}
'''পর্যায় ৪ - সমাধান বাস্তবায়ন করুন'''
{| class="wikitable"
![[চিত্র:Step_3_-_Problem_Solving.png|ফ্রেমহীন]]
|}
'''পর্যায় ৫ - ফলাফল পর্যালোচনা করুন'''
{| class="wikitable"
!ফলাফল -
নতুন গাড়ি কেনার সিদ্ধান্ত কি সেরা ছিল?
নতুন গাড়ি কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো, টাকা জমিয়ে তা কেনা হলো, এবং একটি সাশ্রয়ী গাড়ি কেনা হলো।
নতুন গাড়ির দাম বেশি ছিল, কিন্তু এটি নির্ভরযোগ্য এবং দীর্ঘসময় পরিবহন হিসেবে কাজ করছে।
সুতরাং, এটি সেরা সমাধান ছিল।
|}
গবেষণাও এই কথাটিকে সমর্থন করে। পরবর্তী ধাপে যাওয়ার আগে সমস্যাটি স্পষ্টভাবে সংজ্ঞায়িত করা জরুরি। এই যুক্তির পক্ষে, গেটজেল এবং সিক্সজেন্টমিহালি দেখেছেন যে যারা চিত্রশিল্পী শিক্ষার্থী তাদের মধ্যে যারা তাদের শিল্পকর্ম তৈরির সময় বেশি সময় সমস্যা চিহ্নিতকরণে ব্যয় করে, তাদের কাজকে অন্যদের তুলনায় বেশি সৃজনশীল এবং মৌলিক হিসেবে মূল্যায়ন করা হয়েছে<ref name=":202" />। গবেষকরা ধারণা করেছেন, তারা এই প্রাথমিক ধাপে অধিক বিকল্প বিবেচনায় নিয়ে আরও মৌলিক ও গতিশীল সমাধানে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছেন।
এছাড়াও, অভিজ্ঞ শিক্ষক এবং নতুন প্রশিক্ষণরত শিক্ষার্থীদের মধ্যে তুলনা করলে দেখা যায় যে, অভিজ্ঞ শিক্ষকরা কল্পিত শ্রেণীকক্ষে পাঠ পরিকল্পনায় তুলনামূলকভাবে বেশি সময় ব্যয় করেন<ref name=":202" />। উপরন্তু, তারা উভয় ধরণের সমস্যায় (স্পষ্ট ও অস্পষ্টভাবে সংজ্ঞায়িত) উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি সমাধান প্রস্তাব করতে পেরেছেন। ফলে দেখা যায়, সফল সমস্যা সমাধানের সঙ্গে সঠিক সমস্যা নির্ধারণে সময় ব্যয় এবং বহুবিধ সমাধান বিবেচনার সম্পর্ক রয়েছে।
===== শিক্ষণগত প্রভাব =====
গবেষণালব্ধ তথ্য থেকে একটি শিক্ষণগত ধারণা নেওয়া যায় যে, সমস্যা ধারণায় ব্যয় করা সময় এবং সমাধানের মানের মধ্যে সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে, তাই শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের এই পর্যায়ে যতটা সম্ভব সময় ব্যয় করতে উৎসাহিত করা উচিত<ref name=":202" />। এই জ্ঞান প্রদান করে এবং শিক্ষার্থীদের সমস্যা সমাধানের প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করে নিশ্চিত করা যে তারা সমস্যা ধারণায় “থেমে থাকে”, আমরা কার্যকর সমস্যা সমাধানে সহায়তা করতে পারি<ref name=":202" />।
==== সমস্যার উপস্থাপন ====
''[[চিন্তন ও নির্দেশনা/সমস্যা সমাধান, সমালোচনামূলক চিন্তন ও যুক্তি#glos সমস্যার উপস্থাপন|সমস্যার উপস্থাপন]]'' বলতে কোনো নির্দিষ্ট সমস্যার সম্পর্কিত তথ্য কীভাবে সংগঠিত করা হয় তা বোঝানো হয়<ref name=":202" />। বিমূর্ত উপস্থাপনায় আমরা শুধুমাত্র চিন্তা করি বা কথায় বলি, কোনো দৃশ্যমান উপস্থাপন করি না<ref name=":202" />। সমস্যা উপস্থাপনকে দৃশ্যমান করতে গেলে কাগজ, কম্পিউটার ইত্যাদির মাধ্যমে গল্প, প্রতীক, ছবি, সমীকরণ বা গ্রাফের মাধ্যমে উপস্থাপন করতে হয়। এই দৃশ্যমান উপস্থাপনাগুলি<ref name=":202" /> কার্যকর হতে পারে। কারণ সেগুলি সমাধান এবং ধাপগুলি ট্র্যাক রাখতে সাহায্য করে। এটি জটিল সমস্যায় বিশেষভাবে উপকারী।
[[চিত্র:Bud_Monk_2.png|থাম্ব|ডাঙ্কারের বৌদ্ধ সন্ন্যাসী উদাহরণ।]]
উদাহরণস্বরূপ, যদি আমরা ডাঙ্কারের বৌদ্ধ সন্ন্যাসী উদাহরণটি দেখি<ref name=":202" />:
সকালে একজন বৌদ্ধ সন্ন্যাসী সূর্যোদয়ের সময় পাহাড়ে উঠে মন্দিরে যান। তিনি সূর্যাস্তের ঠিক আগে সেখানে পৌঁছান। কয়েকদিন পর, তিনি সূর্যোদয়ের সময় মন্দির থেকে নামা শুরু করেন এবং উপরের চেয়ে দ্রুত গতিতে নামেন। আপনি কি দেখাতে পারেন এমন একটি স্থান। এখানে তিনি উভয় যাত্রার সময় একই সময়ে পার হয়েছেন?<ref name=":202" />
শুধু বিমূর্ত উপস্থাপন ব্যবহার করলে এই সমস্যাটি সমাধান করা অসম্ভব মনে হয়। কারণ এতে অনেক তথ্য আছে, তা মৌখিকভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে এবং প্রশ্নে অপ্রাসঙ্গিক তথ্যও রয়েছে। দৃশ্যমান উপস্থাপন ব্যবহার করলে আমরা একটি মানসিক চিত্র তৈরি করতে পারি। এখানে দুইটি যাত্রাপথ ছেদ করে এবং সেখানে পৌঁছে একটি কার্যকর সমাধানে আসা সহজ হয়<ref>Bruning, G.J. Schraw & M.M. Norby (2011) Cognitive Psychology and Instruction (5th Ed). New York: Pearson.</ref>।
গবেষণাও দেখায়, কঠিন সমস্যার ক্ষেত্রে দৃশ্যমান উপস্থাপন উপকারী। মার্টিন এবং শোয়ার্জ<ref>Martin, L., and D. L. Schwartz. 2009. “Prospective Adaptation in the Use of External Representations.” Cognition and Instruction 27 (4): 370–400. doi:10.1080/</ref> দেখেছেন যে কঠিন কাজে এবং যখন মাঝে মাঝে সম্পদ ব্যবহার করা যায়, তখন বহিঃস্থ উপস্থাপন বেশি ব্যবহার করা হয়। যদিও এই উপস্থাপন তৈরি করতে সময় লাগে। এরা এগুলো তৈরি করেন তারা কার্যকরভাবে এবং নির্ভুলভাবে সমস্যার সমাধান করতে সক্ষম হন।
আরেকটি সুবিধা হলো এই দৃশ্য উপস্থাপন আমাদের জ্ঞাতাগত পক্ষপাত কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করে। চেম্বারস এবং রেইসবার্গ কর্তৃক পরিচালিত একটি গবেষণায়<ref>Chambers, D., and D. Reisberg. 1985. “Can Mental Images Be Ambiguous?” Journal of Experimental Psychology: Human A pragmatic perspective on visual representation and creative thinking Perception and Performance 11 (3): 317–328.</ref> অংশগ্রহণকারীদের একটি ছবি দেখে চোখ বন্ধ করে সেটির মানসিক চিত্র তৈরি করতে বলা হয়। পরে যখন তাদের সেই মানসিক চিত্র থেকে বিকল্প ব্যাখ্যা বের করতে বলা হয়, তখন কেউই তা করতে পারেনি। কিন্তু যখন ছবি দৃশ্যমানভাবে উপস্থাপন করা হয়, তখন তারা দ্রুত ছবি ঘুরিয়ে অন্য ব্যাখ্যায় পৌঁছাতে পেরেছে। এটি দেখায়, দৃশ্য উপস্থাপন শিক্ষার্থীদের মানসিক জড়তার বিরুদ্ধে কাজ করতে সাহায্য করতে পারে। এটি পরবর্তী অংশে আলোচনা করা হবে।
===== শিক্ষণগত প্রভাব =====
উপরে দেখা গেছে, বিমূর্ত উপস্থাপনায় নির্ভর করলে আমাদের মস্তিষ্কের সীমিত স্বল্প-মেয়াদি স্মৃতি অতিরিক্তভাবে চাপের মধ্যে পড়ে<ref name=":202" />। অনেক সমস্যা এই সীমা অতিক্রম করে যার ফলে আমরা আমাদের কাজের স্মৃতিতে প্রয়োজনীয় সব তথ্য রাখতে পারি না<ref name=":202" />। ফলে এটি ইঙ্গিত করে, শিক্ষকরা সমস্যাগুলো দৃশ্যমান বা লিখিতভাবে উপস্থাপন করলে জ্ঞাতাগত চাপ কমবে। সর্বশেষে, শিক্ষকদের উচিত শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন বহিঃস্থ উপস্থাপন যেমন চার্ট, গ্রাফ, ছবি ইত্যাদির মাধ্যমে তথ্য উপস্থাপনের উপায় দেখানো যাতে করে তারা কার্যকর সমাধান খুঁজে পেতে পারে।
=== সমস্যা সমাধানের চ্যালেঞ্জ ===
উপরে আলোচনা অনুযায়ী, সমস্যা সমাধানকে সহজতর করতে বিভিন্ন কৌশল রয়েছে, কিন্তু এমন কিছু বিষয়ও রয়েছে যা এই প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ: কারও পূর্বের অভিজ্ঞতা অনেক সময় নতুন সমাধান, পন্থা বা ধারণা ভাবতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারে<ref name=":26">Öllinger, M., Jones, G., & Knoblich, G. (2008). Investigating the effect of mental set on insight problem solving. Experimental Psychology, 55(4), 269-282. doi:10.1027/1618-3169.55.4.269</ref>।
==== মনোভাব ====
একটি মনোভাব বলতে বোঝায় কোনো কাজের প্রতি আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি যা অতীত অভিজ্ঞতার দ্বারা প্রভাবিত হয়ে গঠিত হয়।<ref name=":262" /> "Mental set" বলতে বোঝায় অতীতের সফল সমাধানগুলোকেই আমরা বারবার ব্যবহার করতে চাই, পরিবর্তে নতুন কোনো বিকল্প উপায় খুঁজে বের না করা। কিছু কিছু পরিস্থিতিতে এই ধরণের মানসিকতা কার্যকরী হতে পারে, যেমন পূর্বের সফল কৌশল ব্যবহার করে আমরা দ্রুত কোনো সমস্যার সমাধান খুঁজে পেতে পারি। তবে, এটি অনেক সম্ভাব্য এবং অধিক কার্যকর সমাধানকে বাদ দিয়ে দিতে পারে।
[[চিত্র:Candle_task.png|থাম্ব|মোমবাতির কাজ হলো একটি উদাহরণ যা দেখায় কীভাবে বন্ধ মানসিকতা "কার্যকরী স্থিরতা" সৃষ্টি করে।]]
==== কার্যকরী স্থিরতা ====
''[[চিন্তন ও নির্দেশনা/সমস্যা সমাধান, সমালোচনামূলক চিন্তন ও যুক্তি#glos Functional fixedness|কার্যকরী স্থিরতা]]'' হলো এক ধরনের মানসিক গঠন যেখানে আমরা কোনো বস্তুর প্রচলিত কাজেই সীমাবদ্ধ থাকি এবং তার নতুন সম্ভাব্য ব্যবহারগুলো উপেক্ষা করি।<ref name=":203" />
"কার্যকরী স্থিরতা"-এর একটি প্রথাগত উদাহরণ হলো "মোমবাতির সমস্যা"।<ref>Duncker, K. (1945). On Problem Solving. Psychological Monograph, Whole No. 270.</ref> ধরুন আপনি একটি টেবিলের সামনে বসে আছেন। এখানে একটি বাক্স ভর্তি ট্যাক, একটি মোমবাতি এবং কিছু ম্যাচ আছে। আপনাকে বলা হলো যত দ্রুত সম্ভব একটি জ্বলন্ত মোমবাতিকে কর্কবোর্ড দেওয়ালে এমনভাবে বসাতে হবে যাতে মোম টেবিলে গলে না পড়ে। কার্যকরী স্থিরতা-এর কারণে আপনি প্রথমে মনে করতে পারেন ট্যাক ব্যবহার করে মোমবাতিকে দেয়ালে পিন করে দেওয়াটাই সঠিক। কারণ সাধারণত ট্যাক এমন কাজেই ব্যবহৃত হয়—এই অভ্যস্ততাই এক্সপেরিমেন্টের অংশগ্রহণকারীদের প্রভাবিত করেছিল। কিন্তু এটি ভুল সমাধান কারণ এতে মোম টেবিলে গলে পড়বে।
সবচেয়ে কার্যকর সমাধান হলো ট্যাক ভর্তি বাক্সটিকে শুধু একটি ধারক হিসেবে না দেখে একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কল্পনা করা। যদি আমরা বাক্সটি খালি করি, তবে এটি মোমবাতির জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ব্যবহার করতে পারি এবং ট্যাকগুলো দিয়ে বাক্সটিকে দেয়ালে লাগাতে পারি। প্রথমে এই সমাধানটি ভাবা কঠিন। কারণ আমরা বাক্সটিকে সাধারণত ট্যাক রাখার পাত্র হিসেবেই ভাবি এবং এর অন্য কোনো ব্যবহার কল্পনা করতে পারি না (যেমন, এটি একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করতে পারে)। এই পরীক্ষাটি দেখায় কিভাবে পূর্ব জ্ঞান আমাদের চিন্তাকে সীমাবদ্ধ করতে পারে এবং সমস্যা সমাধানে বাধা সৃষ্টি করতে পারে।
===== কার্যকরী স্থিরতা কাটিয়ে ওঠার কৌশল =====
ম্যাকক্যাফ্রে (২০১২) এর প্রস্তাব অনুযায়ী,<ref name=":27">McCaffrey, T. (2012). Innovation relies on the obscure: A key to overcoming the classic problem of functional fixedness. Psychological Science, 23(3), 215-218.</ref> কার্যকরী স্থিরতা কাটিয়ে ওঠার একটি উপায় হলো বস্তুকে খণ্ড খণ্ড অংশে ভাগ করা। এভাবে আমরা দুটি মৌলিক প্রশ্ন করতে পারি: “এটি কি আরও ছোট অংশে ভাঙা যায়?” এবং “আমার বর্ণিত অংশের নাম কি কোনো ব্যবহার নির্দেশ করে?” এই বিষয়টি বোঝাতে ম্যাকক্যাফ্রে একটি "স্টিলের আংটি চিত্র-৮" উদাহরণ দিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে একজন ব্যক্তিকে দুটি স্টিল রিং, একটি মোমবাতি এবং একটি ম্যাচ দেওয়া হয়। তাকে বলা হয় এই দুটি রিংকে মিলিয়ে একটি ৮ আকৃতি তৈরি করতে।
ব্যক্তি যখন সরঞ্জামগুলোর দিকে তাকায় তখন সে ভাবতে পারে মোমবাতির মোম গলিয়ে স্টিল রিং দুটি জোড়া লাগানো যেতে পারে। কিন্তু মোম যথেষ্ট শক্ত নয়। তখন প্রশ্ন দেখা দেয়, কীভাবে রিং দুটি জোড়া লাগানো যায়।
এখানে মোমবাতির সলতা একটি টুল হিসেবে রয়ে যায়, কিন্তু যখন আমরা এটিকে আলো দেওয়ার উপায় হিসেবে ভাবি, তখন আমরা বিকল্প ব্যবহার ভাবতে পারি না। কিন্তু যদি আমরা সলতাকে শুধুই একটি মোমে মোড়ানো সুতা হিসেবে দেখি, তাহলে আমরা সঠিক সমাধানে পৌঁছাতে পারি। এই সুতা ব্যবহার করে দুটি রিংকে একসাথে বাঁধা যেতে পারে। ম্যাকক্যাফ্রে (২০১২) দেখিয়েছেন। এরা এই কৌশলে প্রশিক্ষিত ছিল তারা কন্ট্রোল গ্রুপের তুলনায় ৬৭% বেশি সমস্যার সমাধান করতে পেরেছিল।<ref name=":27" />
====== শিক্ষণতাত্ত্বিক প্রভাব ======
এই কৌশলটি কার্যকর প্রমাণিত হওয়ায়, এটি নির্দেশ করে বহুবিধ চিন্তাভাবনা শেখাতে শিক্ষার্থীদের শেখানো উচিত: “এই বস্তুটি আরও ছোট অংশে ভাগ করা যায় কি না”<ref name=":27" /> এবং “বর্ণিত অংশের নাম কোনো নির্দিষ্ট ব্যবহার নির্দেশ করে কি না”। এতে শিক্ষার্থীরা বস্তুগুলিকে তাদের মৌলিক রূপে বিশ্লেষণ করতে শিখবে এবং সমস্যার অস্পষ্ট বৈশিষ্ট্যগুলোকে স্পষ্ট করে তুলতে পারবে। এটি পূর্বে আলোচিত "ধারণাকরণ"-এর ধারণার সঙ্গে যুক্ত যেখানে সমস্যা সমাধানের দক্ষতা বাড়ানো যায় সমস্যাটি সঠিকভাবে সংজ্ঞায়িত করার ওপর জোর দিয়ে, আমাদের পূর্বধারণার ওপর ভিত্তি করে হঠাৎ সিদ্ধান্ত না নিয়ে। পরবর্তী অংশে আমরা আলোচনা করবো সমস্যা সমাধানে বিশেষজ্ঞরা কী কৌশল ব্যবহার করেন।
== সমস্যা সমাধানে নবীন বনাম বিশেষজ্ঞ ==
অনেক গবেষক মনে করেন, কার্যকর সমস্যা সমাধান দুটি গুরুত্বপূর্ণ ভেরিয়েবলের উপর নির্ভর করে: আমরা নির্দিষ্ট ধরণের সমস্যাগুলো সমাধানে কতটা অভিজ্ঞ তা<ref name=":28">Taconis, R., Ferguson-Hessler, M. G. M., & Broekkamp, H. (2002). Teaching science problem solving: An overview of experimental work. Journal of Research in Science Teaching, 38, 442–46</ref>। এটি আমরা পূর্বে আলোচনা করেছি যে, সমস্যা-ভিত্তিক পদ্ধতিতে অনুশীলনের মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের দক্ষতা বাড়ানো যায়। তবে দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হলো আমরা নির্দিষ্ট বিষয়ে কতটা জ্ঞান রাখি<ref name=":28" />। বিশেষজ্ঞদের সেই বিষয়ে বিপুল পরিমাণ জ্ঞান থাকে। এটি তাদের প্রাসঙ্গিক সমস্যার সমাধানে দ্রুত ও কার্যকরী সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করে। বিশেষজ্ঞরা নিজেদের জ্ঞানকে সংগঠিতভাবে সাজাতে পারেন। এটি তাদের তথ্য বোঝা, সাজানো ও ব্যাখ্যা করার প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করে এবং এর ফলে তারা নবীনদের তুলনায় ভালোভাবে স্মরণ, বিশ্লেষণ এবং সমাধান করতে সক্ষম হন।<ref>Bransford, J. D., Brown, A. L., & Cocking, R. R. (Eds.). (2000). How people learn: Brain, mind, experience, and school. Washington, DC: National Academies Press.</ref>
বিশেষজ্ঞ ও নবীনদের সমস্যা সমাধানের কৌশলের মধ্যে তুলনা করলে দেখা যায়, বিশেষজ্ঞরা সাধারণত তাদের জ্ঞানকে গভীর কাঠামো বা মৌলিক ধারণার চারপাশে সংগঠিত করেন, যেমন সমস্যাটি সমাধানে কী ধরণের কৌশল প্রয়োজন<ref name=":29">Novick, L. R., & Bassok, M. (2005). Problem solving. In K. Holyoak & R. Morrison (Eds.), The Cambridge handbook of thinking and reasoning (pp. 321–350). Cambridge, UK: Cambridge University Press.</ref>। এর বিপরীতে, নবীনরা সমস্যাগুলোকে বাহ্যিক কাঠামোর ভিত্তিতে শ্রেণিবদ্ধ করে, যেমন সমস্যায় থাকা বস্তুগুলো।<ref name=":29" />
বিশেষজ্ঞরা সমস্যা বিশ্লেষণ ও শনাক্ত করতে নবীনদের তুলনায় বেশি সময় ব্যয় করেন। তারা সমাধান বাস্তবায়নের আগে চিন্তা ও পরিকল্পনার জন্য বেশি সময় নেন এবং কিছু নির্দিষ্ট কৌশল ব্যবহার করেন যা তাদের আরও কার্যকর সমাধান দিতে সক্ষম করে।<ref>Fuchs, L. S., Fuchs, D., Stuebing, K., Fletcher, J. M., Hamlett, C. L., & Lambert, W. (2008). Problem solving and computational skills: Are they shared or distinct aspects of mathematical cognition? Journal of Educa- tional Psychology, 100, 30–</ref>
এছাড়াও, বিশেষজ্ঞরা নবীনদের তুলনায় সমস্যার গভীর এবং পূর্ণাঙ্গ উপস্থাপনায় নিয়োজিত থাকেন, যেমন বাহ্যিক উপস্থাপন পদ্ধতি—ডায়াগ্রাম বা স্কেচ—ব্যবহার করে তথ্য তুলে ধরা এবং সমস্যার সমাধান করা। এর ফলে তারা দ্রুত এবং আরও ভালো সমাধানে পৌঁছাতে পারেন।<ref name=":30">McNeill, K., & Krajcik, J. (2008). Scientific explanations: Characterizing and evaluating the effects of teachers’ instructional practices on student learning. Journal of Research in Science Teaching, 45, 53–78.</ref>
উপরের আলোচনার ভিত্তিতে বলা যায়, সমস্যা সমাধান ও দক্ষতা একে অপরের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। কারণ বিশেষজ্ঞরা যেসব কৌশল ব্যবহার করেন সেগুলো কার্যকর সমস্যা সমাধানের কৌশল হিসেবেও চিহ্নিত হয়েছে। তাই বলা যায়, বিশেষজ্ঞদের শুধু বিষয়ভিত্তিক জ্ঞানই বেশি নয়, তারা জানেন এবং প্রয়োগ করেন সবচেয়ে কার্যকর কৌশলগুলো যাতে করে তারা নবীনদের তুলনায় আরও দ্রুত এবং দক্ষতার সঙ্গে সমস্যার সমাধান করতে পারেন।<ref name=":30" /> পরবর্তী অংশে আমরা আলোচনা করবো সমস্যা সমাধান ও সমালোচনামূলক চিন্তার মধ্যকার সম্পর্ক।
== সমস্যা সমাধানে কগনিটিভ টিউটর ==
কগনিটিভ টিউটর বা জ্ঞানীয় শিক্ষক হলো এক ধরনের বুদ্ধিমান শিক্ষণ সহায়ক পদ্ধতি।<ref name=":332">Aleven, V. A. W. M. M., & Koedinger, K. R. (2002) An effective meta-cognitive strategy: learning by doing and explaining with a computer-based Cognitive Tutor. Cognitive Science, 26(2), 147–179.</ref> এটি শিক্ষার্থীদের আলাদা ভিত্তিতে বিভিন্ন ধরণের সমস্যা দিতে পারে, ব্যবহারকারীর সমাধান প্রক্রিয়া ট্র্যাক করতে পারে, প্রয়োজনীয় মুহূর্তে প্রতিক্রিয়া ও ইঙ্গিত দিতে পারে এবং দক্ষতা অর্জনের মানদণ্ড বাস্তবায়ন করতে পারে।<ref name=":342">Anderson, J. R., Corbett, A. T., Koedinger, K. R., & Pelletier, R. (1995). Cognitive Tutors: Lessons learned. Journal of the Learning Sciences, 4(2), 167.</ref>
অ্যান্ডারসন এবং তার সহকর্মীদের মতে,<ref name=":342" /> যারা LISP টিউটরের সাহায্যে কাজ করেছে তারা সমস্যাগুলো ৩০% দ্রুত সমাধান করেছে এবং ৪৩% ভালো ফল করেছে তাদের সহপাঠীদের তুলনায় যারা শুধু শিক্ষকের সহায়তায় মিনি কোর্স করেছিল। একইভাবে। এরা এসিটি প্রোগ্রামিং টিউটর (APT) ব্যবহার করেছে (এটি তাত্ক্ষণিক প্রতিক্রিয়া দেয়) তারা ঐ সমস্যার সেটগুলো দ্রুত শেষ করেছে এবং পরীক্ষায় ২৫% বেশি নম্বর পেয়েছে ঐসব শিক্ষার্থীদের তুলনায় যারা প্রচলিত উপায়ে ক্লাস করেছে।<ref name=":35">Corbett, A. T., & Anderson, J. R. (2001). Locus of feedback control in computer-based tutoring: Impact on learning rate, achievement and attitudes. In Proceedings of the SIGCHI Conference on Human Factors in Computing Systems (pp. 245–252). New York, NY, USA: ACM.</ref> এছাড়াও, উচ্চ বিদ্যালয়ের জ্যামিতি ক্লাসে যারা সমস্যা সমাধানের জন্য জ্যামিতি প্রমাণ টিউটর (GPT) ব্যবহার করেছে তারা পরবর্তীতে নেওয়া পরীক্ষায় ঐসব শিক্ষার্থীদের চেয়ে বেশি নম্বর পেয়েছে যারা প্রচলিত ক্লাসরুম কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেছিল।<ref name=":36">Koedinger, K. R., & Corbett, A. (2006). Cognitive tutors. The Cambridge handbook of the learning sciences, 61-77.</ref>
=== কগনিটিভ টিউটরের একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ ===
১৯৮৫ সালে, অ্যান্ডারসন, বয়েল এবং রেইগসার বুদ্ধিমান টিউটরিং সিস্টেমে কগনিটিভ সাইকোলজির শাখাটি যুক্ত করেন। সেই সময় থেকে, বুদ্ধিমান টিউটরিং সিস্টেম এই পদ্ধতিকে গ্রহণ করে শিক্ষার্থীদের জ্ঞান অর্জনের জন্য কগনিটিভ মডেল নির্মাণ করে। এর নাম দেওয়া হয় কগনিটিভ টিউটর।<ref name=":343" /> সবচেয়ে বহুল ব্যবহৃত কগনিটিভ টিউটর হলো কগনিটিভ_টিউটর® Algebra I।<ref name=":362" /> কার্নেগি লার্নিং, ইনকর্পোরেটেড। এর মালিকানাধীন ট্রেডমার্ক এটি, তারা পূর্ণাঙ্গ কগনিটিভ_টিউটর® বিকাশ করছে। এর মধ্যে রয়েছে বীজগণিত I, II, বীজগণিতের সেতু, জ্যামিতি, এবং সমন্বিত গণিত I, II, III। কগনিটিভ_টিউটর® এখন স্প্যানিশ মডিউলও অন্তর্ভুক্ত করেছে।
কগনিটিভ টিউটর শেখার প্রক্রিয়াকে “কাজ করে শেখা”-এর ধারণাকে সমর্থন করে। এটি মানবিক টিউটরিংয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যভিত্তিক দক্ষতা বা ধারণা প্রয়োগের সুযোগ ও বিষয়বস্তুভিত্তিক প্রতিক্রিয়া প্রদান করে।<ref name=":362" /> শিক্ষার্থীদের পারফরম্যান্স পর্যবেক্ষণের জন্য, কগনিটিভ টিউটর দুটি ''[[চিন্তন ও নির্দেশনা/সমস্যা সমাধান, সমালোচনামূলক চিন্তন ও যুক্তি#glos Algorithms|অ্যালগরিদম]]'' ব্যবহার করে — মডেল ট্রেসিং ও নলেজ ট্রেসিং। মডেল ট্রেসিং তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া প্রদান করে এবং শিক্ষার্থীর প্রতিটি ধাপে নির্দিষ্ট বিষয়বস্তুভিত্তিক পরামর্শ দেয়।<ref name=":343" /> নলেজ ট্রেসিং ব্যবহারকারীর পূর্বজ্ঞান অনুসারে প্রতিটি ব্যবহারকারীর জন্য উপযুক্ত কাজ নির্বাচন করে যাতে তারা মাস্টারি লার্নিং অর্জন করতে পারে।<ref name=":343" /><ref name=":362" />
কগনিটিভ টিউটর বিভিন্ন পাঠ্যক্রম বা বিষয়ে তৈরি এবং প্রয়োগ করা যায় শিক্ষার্থীদের শেখায় সহায়তা করার জন্য, এবং ক্লাসরুম লার্নিং-এ অভিযোজিত সফটওয়্যার হিসেবে সংযুক্ত করা যায়। এই পাঠ্যক্রম ও বিষয়গুলির মধ্যে রয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের গণিত,<ref name=":333" /> <ref name=":352" /> <ref>Koedinger, K. R. (2002). Toward evidence for instructional design principles: Examples from Cognitive Tutor Math 6. In Proceedings of PME-NA XXXIII (The North American Chapter of the International Group for the Psychology of Mathematics Education).</ref> উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জেনেটিকস,<ref>Corbett, A., Kauffman, L., Maclaren, B., Wagner, A., & J,.ones, E. (2010). A Cognitive Tutor for genetics problem solving: Learning gains and student modeling. Journal of Educational Computing Research, 42(2), 219–239.</ref> এবং প্রোগ্রামিং।<ref name=":343" /><ref name=":352" /><ref>Corbett, A. T., & Anderson, J. R. (2008). Knowledge decomposition and sub-goal reification in the ACT programming tutor. Department of Psychology, 81.</ref><ref>Corbett, A. T., & Bhatnagar, A. (1997). Student modelling in the ACT programming tutor: Adjusting a procedural learning model with declarative knowledge. In User modelling (pp. 243-254). Springer Vienna.</ref>
কগনিটিভ টিউটর শ্রেণীকক্ষ, শিক্ষার্থীদের উৎসাহ এবং অর্জনে বিশাল প্রভাব ফেলেছে।<ref>Corbett, A. (2002). Cognitive tutor algebra I: Adaptive student modelling in widespread classroom use. In Technology and assessment: Thinking ahead. proceedings from a workshop (pp. 50-62).</ref> কগনিটিভ টিউটরের কার্যকারিতা সম্পর্কে গবেষণার প্রমাণগুলো ইঙ্গিত করে, এটি শ্রেণীকক্ষ শিক্ষার তুলনায় অধিক কার্যকর।<ref name=":343" /><ref>Koedinger, K. R. & Anderson, J. R. (1993). Effective use of intelligent software in high school math classrooms. In Proceedings of the World Conference on Artificial Intelligence in Education, (pp. 241-248). Charlottesv</ref><ref>Koedinger, K., Anderson, J., Hadley, W., & Mark, M. (1997). Intelligent tutoring goes to school in the big city. Human-Computer Interaction Institute.</ref><ref name=":352" />
=== কগনিটিভ টিউটরের তাত্ত্বিক পটভূমি ===
==== [http://en.wikibooks.org/wiki/Cognition_and_Instruction/Long-Term_Memory#The_ACT-R_Theory ACT-R তত্ত্ব] ====
কগনিটিভ টিউটরের তাত্ত্বিক পটভূমি হলো ACT-R তত্ত্ব অফ লার্নিং অ্যান্ড পারফরম্যান্স। এটি প্রক্রিয়াগত জ্ঞান এবং ঘোষণামূলক জ্ঞানের মধ্যে পার্থক্য করে।<ref name=":343" /> ACT-R তত্ত্ব অনুযায়ী, প্রক্রিয়াগত জ্ঞান সরাসরি মানুষের মাথায় ঢোকানো যায় না, এবং এটি if-then ''[[চিন্তন ও নির্দেশনা/সমস্যা সমাধান, সমালোচনামূলক চিন্তন ও যুক্তি#glos গুণন|গুণন]]'' বিধির মাধ্যমে উপস্থাপন করা যায়। প্রক্রিয়াগত জ্ঞান অর্জনের একমাত্র উপায় হলো কাজ করে শেখা।
==== [http://en.wikibooks.org/wiki/Cognition_and_Instruction/Long-Term_Memory#Production_Rule_Models_of_Memory প্রোডাকশন রুলস] ====
প্রোডাকশন রুলস দেখায় কিভাবে শিক্ষার্থীরা, তারা নতুন হোক বা অগ্রসর, একটি নির্দিষ্ট বিষয় বা ক্ষেত্রে চিন্তা করে।<ref name=":343" /> প্রোডাকশন রুলস শিক্ষার্থীদের অনানুষ্ঠানিক বা স্বতঃসিদ্ধ চিন্তাভাবনাকে উপস্থাপন করতে পারে।<ref>Koedinger, K. R., & Corbett, A. (2006). Cognitive tutors. The Cambridge handbook of the learning sciences, 61-77.</ref> এই অনানুষ্ঠানিক বা স্বতঃসিদ্ধ চিন্তাভাবনা সাধারণত পাঠ্যপুস্তকে শেখানো ধারণার চেয়ে ভিন্ন হয়, এবং শিক্ষার্থীরা স্কুলের বাইরেও এমন চিন্তার ধরন অর্জন করতে পারে।<ref>Resnick, L. B. (1987). Learning in school and out. Educational Researcher, 16(9), 13-20.</ref> সমস্যার সমাধানে নির্দিষ্ট অপারেশনের পরিবর্তে একটি পরিকল্পনা প্রদান করা যেমন হিউরিস্টিক পদ্ধতি;<ref>Polya, G. (1957). How to Solve It: A New Aspect of Mathematical Method. (2nd ed.). Princeton, NJ: Princeton University Press.</ref> এবং বিকল্প কৌশল যেমন প্রতীক ছাড়াও গ্রাফিক্স ব্যবহার করে সমীকরণ সমাধান করাও<ref name=":362" /> প্রোডাকশন রুলের মাধ্যমে উপস্থাপন করা যায়।
==== কগনিটিভ মডেল এবং মডেল ট্রেসিং ====
কগনিটিভ মডেল ACT-R তত্ত্ব এবং শিক্ষার্থীদের উপর পরিচালিত গবেষণার উপর ভিত্তি করে গঠিত।<ref name=":362" /> শিক্ষার্থীদের সব সমাধান এবং সাধারণ ভ্রান্ত ধারণাগুলো কগনিটিভ মডেলের প্রোডাকশন সিস্টেমে উপস্থাপিত হয়।
{| border="1" style="background-color:Whitesmoke" cellpadding="10px" cellspacing="8px" align="center"
|একটি বীজগণিতীয় সমীকরণ সমাধানের তিনটি কৌশল
|-
|<blockquote>'''সমীকরণ''': 2(3+X)=10</blockquote><blockquote>'''কৌশল ১''': 2x3+2xX=10</blockquote><blockquote>'''কৌশল ২''': 2(3+X)÷2=10÷2</blockquote><blockquote>'''কৌশল ৩''': 2x3+X=10</blockquote>
|}
উদাহরণস্বরূপ, 2(3+X)=10 এই বীজগণিতীয় সমীকরণ সমাধানের তিনটি কৌশল রয়েছে। কৌশল ১ হলো ২ দ্বারা (3+X) গুণ করা; কৌশল ২ হলো উভয় পাশে ২ দ্বারা ভাগ করা; কৌশল ৩ হলো ২ দ্বারা শুধু ৩ গুণ করে X কে গুণ না করে ভুল ধারণা প্রদর্শন করা। যেহেতু প্রতিটি কাজের একাধিক পদ্ধতি থাকতে পারে, শিক্ষার্থীরা তাদের সুবিধামত সমাধান পদ্ধতি বেছে নিতে পারে।
মডেল ট্রেসিং একটি অ্যালগরিদম যা শিক্ষার্থীদের শেখার প্রতিটি ধাপ অনুসরণ করতে পারে এবং তাত্ক্ষণিক, প্রসঙ্গভিত্তিক প্রতিক্রিয়া প্রদান করে। যদি শিক্ষার্থী সঠিক উত্তর বেছে নেয়, যেমন কৌশল ১ বা কৌশল ২ ব্যবহার করে সমাধান করে, কগনিটিভ_টিউটর® এটি গ্রহণ করে এবং শিক্ষার্থীকে পরবর্তী কাজ দেয়। যদি শিক্ষার্থীর ভুলটি একটি সাধারণ ভ্রান্ত ধারণার সঙ্গে মিলে যায়, যেমন কৌশল ৩, কগনিটিভ_টিউটর® এটিকে ভুল হিসেবে চিহ্নিত করে এবং তাৎক্ষণিকভাবে পরামর্শ দেয়, যেমন: "X-কে ২ দ্বারা গুণ করাও প্রয়োজন।" যদি শিক্ষার্থীর ভুল কোনো প্রোডাকশন রুলের সঙ্গে না মেলে, অর্থাৎ উপরোক্ত কোনো কৌশল ব্যবহার না করে, তাহলে কগনিটিভ_টিউটর® এই ধাপটিকে লাল রঙ ও ইটালিকে একটি ভুল হিসেবে চিহ্নিত করে। সমস্যার সমাধান করার সময় শিক্ষার্থীরা যে কোনো সময়ে সাহায্য বা ইঙ্গিত চাইতে পারে। করবেটের মতে,<ref name=":352" /> তিনটি স্তরের পরামর্শ রয়েছে: প্রথমত, একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য অর্জনের পরামর্শ; দ্বিতীয়ত, সেই লক্ষ্য অর্জনের জন্য সাধারণ ধারণা প্রদান; এবং তৃতীয়ত, বর্তমান প্রসঙ্গে সমস্যার সমাধান সম্পর্কে বিস্তারিত পরামর্শ।
==== নলেজ ট্রেসিং ====
নলেজ ট্রেসিং সমস্যার সমাধান প্রক্রিয়ায় শিক্ষার্থীদের ক্রমবর্ধমান প্রোডাকশন রুলস পর্যবেক্ষণ করতে পারে। প্রতিটি শিক্ষার্থী সমস্যার প্রতিটি ধাপে একটি প্রোডাকশন রুল নির্বাচন করতে পারে, এবং কগনিটিভ টিউটর শিক্ষার্থী ঐ নির্দিষ্ট রুল শিখেছে কিনা, তার সম্ভাব্যতা আপডেট করে হিসাব করতে পারে।<ref name=":352" /><ref name=":362" /> এই সম্ভাব্যতা অনুমানসমূহ সফটওয়্যারের ইন্টারফেসে স্কিল-মিটার-এ দেখানো হয়। এই অনুমান ব্যবহার করে কগনিটিভ টিউটর শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত চাহিদার ভিত্তিতে উপযুক্ত কাজ বা সমস্যা নির্বাচন করতে পারে।
=== কার্যকারিতা ===
==== কগনিটিভ টিউটর® জ্যামিতি ====
অ্যালেভেন এবং কোয়েডিঙ্গার দুটি পরীক্ষা পরিচালনা করেছিলেন যাতে দেখা যায় কগনিটিভ টিউটর® কি উচ্চ বিদ্যালয়ের জ্যামিতি ক্লাসে আত্ম-ব্যাখ্যাকে কার্যকরভাবে সহায়তা করতে পারে কিনা।<ref name=":334" /> গবেষণার ফলাফল ইঙ্গিত দেয় যে “কগনিটিভ টিউটর® ব্যবহারে সমস্যা-সমাধানের অনুশীলন তখনই আরও কার্যকর হয় যখন শিক্ষার্থীরা তাদের পদক্ষেপগুলোর ব্যাখ্যা সমস্যা-সমাধানের নীতিগুলোর মাধ্যমে দেয়।”<ref name=":33 page"><Aleven, V. A. W. M. M., & Koedinger, K. R. (2002). An effective metacognitive strategy: learning by doing and explaining with a computer-based Cognitive Tutor. Cognitive Science, 26(2), 147–179. p. 173</ref>
জ্যামিতি শেখার ক্ষেত্রে এটি তখন ঘটে যখন শিক্ষার্থীদের পূর্বজ্ঞানভিত্তিক উৎপাদন নিয়মগুলো অতিরঞ্জিত হয়। এর ফলে তারা তথ্যকে ভাসাভাসাভাবে গ্রহণ করে এবং শেখে। উদাহরণস্বরূপ, একটি শিক্ষার্থী সঠিক উত্তর বেছে নিয়ে পরবর্তী ধাপে চলে যেতে পারে এমন একটি অতিরঞ্জিত নিয়ম অনুসরণ করে—''যদি একটি কোণ অন্য একটি কোণের মতো দেখায়, তবে সেটি সমান''—প্রকৃত বোঝাপড়া ছাড়াই। অ্যালেভেন এবং কোয়েডিঙ্গার অনুযায়ী, আত্ম-ব্যাখ্যার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা আরও সাধারণ রূপে নিয়মগুলোর ব্যাখ্যা করতে শেখে এবং এটি তাদের আরও গভীরভাবে চিন্তা করতে এবং জ্যামিতি বিষয়ক নিয়মগুলোর ওপর স্পষ্টভাবে প্রতিফলন করতে উৎসাহিত করে।<ref name=":334" />
গবেষণার অন্তর্ভুক্ত সকল জ্যামিতির ক্লাসে ছিল শ্রেণিকক্ষ আলোচনা, ক্ষুদ্র-দলীয় কার্যক্রম, বক্তৃতা এবং কগনিটিভ টিউটর® ব্যবহারে সমস্যা সমাধান। উভয় পরীক্ষায়, শিক্ষার্থীদের কগনিটিভ টিউটর® এর সাহায্যে সমস্যা সমাধান করতে হয়েছে। তবে কগনিটিভ টিউটর®-এর দুটি আলাদা সংস্করণ ব্যবহার করা হয়েছে—নতুন সংস্করণটি আত্ম-ব্যাখ্যাকে সহায়তা করতে পারে, যেটি "কাজ এবং ব্যাখ্যার মাধ্যমে শিক্ষণ পরিচালিত করা" নামেও পরিচিত,<ref name=":334" /> আর অন্যটি পারে না। নতুন সংস্করণে এমন অতিরিক্ত বৈশিষ্ট্য ছিল যা শিক্ষার্থীদের প্রতিটি ধাপকে যুক্তিযুক্ত করতে জ্যামিতির নীতিমালা প্রবেশ করানো অথবা অনলাইন গ্লসারির সঙ্গে সেগুলোর সংযোগ করানো বাধ্যতামূলক করেছিল, একইসঙ্গে শিক্ষার্থীরা তাদের পছন্দ অনুযায়ী ব্যাখ্যা এবং সমাধান দিতে পারত। নতুন সংস্করণের ব্যাখ্যার ধরনটি কথ্য ব্যাখ্যার চেয়ে আলাদা ছিল। এটি আত্ম-ব্যাখ্যাবিষয়ক আরেকটি পরীক্ষায় উল্লেখ করা হয়েছে। গবেষকরা দেখতে পান। এরা নতুন সংস্করণ ব্যবহার করেছে তারা শুধু যে আরও নিখুঁতভাবে ব্যাখ্যা দিতে পেরেছে তা-ই নয়, বরং তারা জ্যামিতি বিষয়ে আরও গভীরভাবে নিয়মগুলো বুঝতে পেরেছে। ফলে, তারা সেই শেখা নিয়মগুলো নতুন পরিস্থিতিতেও প্রয়োগ করতে পেরেছে এবং ভাসাভাসা শেখা এড়াতে সক্ষম হয়েছে।
==== জেনেটিক্স কগনিটিভ টিউটর ====
করবেট ও সহকর্মীরা (২০১০) জেনেটিক্স কগনিটিভ টিউটর-এর দুটি মূল্যায়ন পরিচালনা করেন আমেরিকার ১২টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৭ ধরণের জীববিজ্ঞান কোর্সে। গবেষণায় দেখা গেছে, পোস্ট-সেকেন্ডারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জেনেটিক্স সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে জেনেটিক্স কগনিটিভ টিউটর ব্যবহার কার্যকর ছিল।<ref>Corbett, A., Kauffman, L., Maclaren, B., Wagner, A., & Jones, E. (2010). A Cognitive Tutor for genetics problem solving: Learning gains and student modelling. Journal of Educational Computing Research, 42(2), 219–239.</ref>
প্রথম মূল্যায়নে, অংশগ্রহণকারীরা ক্লাস কার্যক্রম অথবা হোমওয়ার্ক হিসেবে জেনেটিক্স কগনিটিভ টিউটর ব্যবহার করে। সফটওয়্যারটিতে ১৬টি মডিউল রয়েছে এবং এতে প্রায় ১২৫টি সমস্যা পাঁচটি সাধারণ জেনেটিক বিষয়ের উপর ভিত্তি করে। জেনেটিক্স কগনিটিভ টিউটর জেনেটিক্স সমস্যা সমাধানের জন্য ধাপে ধাপে সহায়তা দেয় এবং এতে উভয় মডেল ট্রেসিং এবং নলেজ ট্রেসিং ব্যবহার করা হয়। প্রাক-পरीক্ষণের গড় সঠিকতার হার ছিল ৪৩% এবং পরবর্তী পরীক্ষায় তা বেড়ে হয় ৬১%, অর্থাৎ গড় উন্নতি ছিল ১৮%। দ্বিতীয় মূল্যায়নে গবেষকরা খতিয়ে দেখেন, জ্ঞান ট্রেসিং অ্যালগরিদম শিক্ষার্থীদের জ্ঞানের সঠিক পূর্বাভাস দিতে পারে কিনা। ফলাফল অনুযায়ী, অ্যালগরিদমটি কাগজ-কলমভিত্তিক পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের পারফরম্যান্স যথাযথভাবে পূর্বানুমান করতে সক্ষম।
== প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা এবং নকশা চিন্তন ==
=== বাস্তব জীবনের সমস্যার সমাধানে তাত্ত্বিক চিন্তা ===
''[[চিন্তন ও নির্দেশনা/সমস্যা সমাধান, সমালোচনামূলক চিন্তন ও যুক্তি#glos Project Project Based Learning|প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা]]'' একটি ধারণা যা শিক্ষার্থীকে শিক্ষার কেন্দ্রে স্থাপন করার উদ্দেশ্যে তৈরি। এই শিক্ষায় শিক্ষার্থীকে একটি জটিল চ্যালেঞ্জ বা প্রশ্নের উত্তরে দীর্ঘ সময় ধরে অনুসন্ধানমূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করতে উৎসাহিত করা হয়। প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষার উদ্দেশ্য হল শিক্ষার্থী যেন পাঠ্যক্রম অনুসরণ করার পাশাপাশি তাদের বিদ্যমান জ্ঞান ব্যবহার করে সমস্যার সমাধান খুঁজে বের করতে পারে। মূলত, এটি এমন একটি কার্যকলাপ যেখানে শিক্ষার্থীরা বাস্তব জীবনের সমস্যা বা ইস্যুর উপর ভিত্তি করে একটি বিষয় সম্পর্কে ধারণা তৈরি করে এবং তাদের শিক্ষাক্রমের নকশা করায় এক ধরনের দায়িত্ব পালন করে<ref>Morgan, Alistar. (1983). Theoretical Aspects of Project-Based Learning in Higher Education. British Journal of Educational Technology, 14(1), 66-78.</ref>। ব্লুমেনফেল্ড প্রমুখ (১৯৯১) উল্লেখ করেছেন যে প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা শিক্ষার্থীকে তাদের মূল প্রশ্ন, কার্যকলাপ এবং তৈরি করা শিল্পকর্মের প্রক্রিয়ার প্রতি দায়িত্ববান করে তোলে<ref name=":48">Blumenfeld, Phyllis C., Elliot Soloway, Ronald W. MArx, Joseph S. Krajick, Mark Guzdial, Annemarie Palincsar.. (1991). Motivating Project-Based Learning: Sustaining the Doing, Supporting the Learning. Educational Psychologist, 26(3&4), 369-398.</ref>।
প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা পাঁচটি নির্দিষ্ট মানদণ্ডের উপর ভিত্তি করে তৈরি<ref name=":37">Thomas, John W. (2000). A Review of Research on Project-Based Learning. San Rafael: Autodesk Press.</ref>:
{| border="1"
|+'''প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষার বৈশিষ্ট্য'''
|প্রকল্পগুলো পাঠ্যক্রমের কেন্দ্রবিন্দু বা প্রান্তবর্তী যে কোন অংশে হতে পারে।
|-
|প্রকল্পগুলো এমন প্রশ্ন বা সমস্যার উপর ভিত্তি করে তৈরি যা শিক্ষার্থীদের একটি নির্দিষ্ট বিষয়ের মূল ধারণা ও নীতির মুখোমুখি করে এবং সেখানে সংগ্রাম করতে বাধ্য করে।
|-
|প্রকল্পগুলো শিক্ষার্থীদের গঠনমূলক অনুসন্ধানে সম্পৃক্ত করে।
|-
|প্রকল্পগুলো কিছুটা হলেও শিক্ষার্থী পরিচালিত হয়।
|-
|প্রকল্পগুলো বাস্তবধর্মী হয়, শুধু বিদ্যালয়ভিত্তিক নয়।
|}
[[চিত্র:Problem_Based_Learning_vs_Project_Based_Learning.png|থাম্ব|প্রকৃত এবং কার্যকর সমাধান উপস্থাপনে শিক্ষার্থীদের চ্যালেঞ্জ জানায় প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা।]]
এই ধরনের চ্যালেঞ্জগুলি বাস্তব জীবনের প্রাসঙ্গিক সমস্যা নিয়ে গঠিত। এটি শিক্ষার্থীদের অনুসন্ধান প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সম্পৃক্ত করে এবং সক্রিয় বা অভিজ্ঞতালব্ধ শিক্ষার মাধ্যমে তাদের ধারণা প্রকাশে সক্ষম করে। উদাহরণস্বরূপ, প্রাথমিক বা মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের শিক্ষকের পক্ষ থেকে স্কুলে কম্পোস্ট সমস্যা সমাধানের জন্য বলা হতে পারে। শিক্ষার্থীদের দলবদ্ধভাবে গবেষণা, নির্মাণ এবং তাদের আইডিয়া প্রদর্শনের নির্দিষ্ট মানদণ্ডের মধ্যে থেকে সমাধান বের করতে উৎসাহিত করা হবে। এখানে তারা দীর্ঘ সময় ধরে বিষয়বস্তুর সাথে মানসিকভাবে যুক্ত থাকবে এবং আগ্রহ ধরে রাখবে<ref name=":48" />। ফলাফল হবে একটি জটিল শিক্ষা প্রক্রিয়া যার সফলতা কেবল অংশগুলোর যোগফল নয় বরং সামগ্রিকতায় নিহিত<ref name=":38">van Merriënboer, J. J. G., Clark, R. E., & de Croock, M. B. M. (2002). Blueprints for complex learning: The 4C/ID-model. Educational Technology Research and Development, 50(2), 39–61. doi:10.1007/bf02504993.</ref>। প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষার লক্ষ্য হলো জ্ঞান, সহযোগিতা এবং একটি চূড়ান্ত প্রকল্প উপস্থাপনের দক্ষতা সমন্বয় করা। এই ধরণের স্কিমা নির্মাণ শিক্ষার্থীদের বাস্তব প্রশিক্ষণ ব্যবহার করে কার্যকর ফলাফল তৈরিতে সাহায্য করে। শিক্ষার্থী পূর্ববর্তী জ্ঞান ব্যবহার করে নতুন তথ্যের সাথে সংযুক্ত হয় এবং একটি বিষয় সম্পর্কে তার ধারণাকে সম্প্রসারিত করে<ref name=":38" />। প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষায় এই প্রক্রিয়াটি তথ্য সংগ্রহ, দলগত আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং সমাধান তৈরি করার মাধ্যমে সম্পন্ন হয়।
সমস্যা ভিত্তিক শিক্ষার চেয়ে প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষায় নির্মাণবাদী শিক্ষার দর্শনের ভিত্তিতে অভিজ্ঞতালব্ধ শেখাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়। এখানে শিক্ষার্থীরা একটি নির্দিষ্ট চালিকাশক্তি প্রশ্নের উত্তরে বাস্তব সমাধানের দিকে অগ্রসর হয়ে তাদের জ্ঞানের পরিমাণ প্রকাশ করে। অভিজ্ঞতালব্ধ শিক্ষার এই দার্শনিক ভিত্তি এসেছে জন ডিউই এর “এডুকেশন অ্যান্ড এক্সপেরিয়েন্স” (শিক্ষা ও অভিজ্ঞতা) নামক গ্রন্থ থেকে। ডিউই মনে করতেন যে অভিজ্ঞতা একটি ধারাবাহিক শেখার প্রক্রিয়া। এটি কৌতূহল জাগায়, উদ্যোগ বৃদ্ধি করে এবং শিক্ষার্থীকে আরও জ্ঞানের দিকে এগিয়ে নিয়ে যায়<ref name=":39">Dewey, J. (1938). Experience and education. New York: Macmillan.</ref>। প্রকৃত সমস্যার সমাধানে কাজ করার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সমাধানকে বাস্তব কাঠামোর সঙ্গে যুক্ত করে এই অভিজ্ঞতালব্ধ শিক্ষা। শিক্ষার্থীদের অবশ্যই তাদের জ্ঞানের অভাব পূরণ করতে হয় গবেষণা ও দলগত সহযোগিতার মাধ্যমে। প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষায় অভিজ্ঞতা নির্ভর শেখা একটি চালিকাশক্তি প্রশ্নের উপর কেন্দ্রীভূত থাকে। এটি সাধারণত শিক্ষক কর্তৃক নির্ধারিত। শিক্ষার্থীরা এই প্রশ্নের উত্তর দিতে একটি নকশা করা শিল্পকর্ম তৈরি করে অর্জিত জ্ঞান উপস্থাপন করে।
প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষার নির্মাণবাদী পদ্ধতি শিক্ষক কর্তৃক পরিচালিত গাইডেড ডিসকভারি পদ্ধতির মাধ্যমে পরিচালিত হয়। এখানে বিশুদ্ধ স্বাধীন অনুসন্ধান। এটি অনেক সময় শিক্ষার্থীদের খুব বেশি স্বাধীনতা দেওয়ার জন্য সমালোচিত। এক্ষেত্রে এটি এড়িয়ে নির্দিষ্ট একটি প্রশ্নের মাধ্যমে শিক্ষার পথ নির্ধারণ করা হয়<ref name=":40">van Merrienboer, J. J. G., Paul A. Kirschner, & Liesbeth Kester. (2004). Taking the Load off a Learner’s Mind: Instructional Design for Complex Learning. Amsterdam: Open University of the Netherlands.</ref>। এই ধরনের নির্মাণবাদী শিক্ষাপদ্ধতি শিক্ষার্থীদের চিন্তন প্রক্রিয়া উন্নত করতে কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে<ref name=":40" />। প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা শিক্ষার্থীদের শেখানো প্রশ্নের উত্তর নিজেরা বের করতে উৎসাহিত করে এবং সেই সঙ্গে অনুসন্ধান, বিশ্লেষণ এবং উপস্থাপনার জন্য একটি কাঠামো প্রদান করে। ফলে, প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা নির্বাচন, সংগঠন এবং জ্ঞান একীভূত করার মাধ্যমে তাৎপর্যপূর্ণ ও মানসিকভাবে উপকারী শেখার সুযোগ তৈরি করে<ref name=":40" />।
=== অভিজ্ঞতা হল শেখার ভিত্তি ===
প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা শিক্ষার একটি শাখা যা কাজের মাধ্যমে শেখাকে গুরুত্ব দেয়। জন ডিউই উল্লেখ করেছেন যে শিক্ষক ও বিদ্যালয়গুলোকে অভিজ্ঞতা ও নির্মাণবাদী পদ্ধতির মাধ্যমে তত্ত্ব ও বাস্তব জীবনের মধ্যে সম্পর্ক গভীর করতে শিক্ষার্থীদের সাহায্য করা উচিত। ডিউই বলেছেন, শিক্ষার মধ্যে অভিজ্ঞতার ধারাবাহিকতা ও শিক্ষা গণতন্ত্রায়নের একটি ধারা থাকা উচিত যাতে মানব অভিজ্ঞতার মান উন্নত হয়<ref name=":39" />। এই দুটি উপাদান প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এখানে বাস্তব সমস্যা নিরসনে সমাধান উপস্থাপন এবং দলগত সহযোগিতার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের নিজস্ব সমাধান খোঁজার সুযোগ থাকে। ব্লুমেনফেল্ড প্রমুখ উল্লেখ করেছেন যে প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষার মূল্য নিহিত শিক্ষার্থীদের সাথে সম্পর্কিত প্রশ্নে — যেমন ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য, সমাজের সমস্যা, বা চলমান ঘটনাবলীতে<ref name=":48" />।
প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষার ভিত্তি জঁ পিয়াজের চিন্তায়ও রয়েছে, যিনি মনে করতেন যে শিক্ষার্থীরা পূর্ববর্তী জ্ঞানকে ভিত্তি করে নতুন কিছু শিখে এবং সেই সাথে নতুন সংযোগ তৈরি করে সর্বোত্তমভাবে শিখে। শিক্ষার্থীর বুদ্ধিমত্তা গঠিত হয় তার পরিবেশের উপাদানগুলো আত্মস্থ করে, এবং বিভিন্ন নতুন স্কিমাকে গ্রহণ করে পূর্ব ধারণাকে পরিবর্তন করে<ref>Piaget, Jean; Cook, Margaret (Trans). The construction of reality in the child. New York, NY, US: Basic Books The construction of reality in the child. (1954). xiii 386 pp. http://dx.doi.org/10.1037/11168-000.</ref>। পিয়াজে মনে করতেন, শিক্ষার্থী নিজেরা জ্ঞান আবিষ্কার করতে পারবে, তবে সহযোগিতা ছাড়া তাদের সমাধান সুসংগঠিত হবে না<ref name=":40" />। প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা পিয়াজের এই সম্মিলিত যোগাযোগ ও দলগত শিখনের গুরুত্বকে স্বীকৃতি দেয়।
=== আত্ম-প্রণোদনা শিক্ষার্থীর শেখাকে এগিয়ে নেয় ===
প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা শিক্ষার্থীদের বিভিন্নভাবে উপকার করে যেমন জ্ঞান অর্জন, যোগাযোগ এবং সৃজনশীলতা বৃদ্ধির মাধ্যমে। একটি নির্দিষ্ট চ্যালেঞ্জে যুক্ত হয়ে শিক্ষার্থীরা গভীরভাবে বিষয়বস্তু অনুধাবন করে। এছাড়া, সহযোগিতামূলক শিক্ষার কারণে যোগাযোগ, নেতৃত্ব এবং সামাজিক দক্ষতা বাড়ে। শিক্ষার্থীরা বিষয়বস্তু দীর্ঘ সময় ধরে মনে রাখতে পারে এবং কী শিখছে তা ভালোভাবে বোঝে। প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষাকে সমর্থন করার জন্য কমপক্ষে চারটি জ্ঞানতাত্ত্বিক ক্ষেত্র আছে<ref name=":37" /> – প্রণোদনা, দক্ষতা, প্রাসঙ্গিকতা, এবং প্রযুক্তি।
[[চিত্র:Ashs-impact_projects.ogv|থাম্ব|শিক্ষার্থীরা তাদের প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষার মডেল নিয়ে প্রেরণার কথা বলছে]]
শিক্ষার্থী যদি কোনো বিষয়ের শিখন ও পারদর্শিতার উপর ভিত্তি করে প্রণোদিত হয়, তাহলে তারা দীর্ঘস্থায়ীভাবে তাদের কাজের সাথে যুক্ত থাকে<ref>Ames, C. (1992). Classrooms: goals, structures, and student motivation. Journal of Educational Psychology, 84, 261-271.</ref>। তাই, প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা প্রতিযোগিতার পরিবর্তে সহযোগিতামূলক লক্ষ্য নির্ধারণ করে। এটিতে ব্যক্তিগত শিক্ষার্থীরা হুমকির সম্মুখীন না হয় এবং শেখায় মনোনিবেশ করতে পারে<ref name=":37" />। প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা শিক্ষার্থীদের এমনভাবে পরিকল্পনা করে যাতে তারা একসাথে লক্ষ্য অর্জন করতে পারে, ভয় বা সমালোচনার ভীতি ছাড়াই। উদাহরণস্বরূপ, হেল্লে প্রমুখ একটি গবেষণায় তথ্য ব্যবস্থা নকশা বিষয়ে শিক্ষার্থীদের সাত মাসব্যাপী একটি প্রকল্পে কাজ করতে দেন। শিক্ষার্থীদের একটি প্রশ্নপত্রের মাধ্যমে তাদের প্রেরণার মাত্রা পরিমাপ করা হয়। গবেষণায় দেখা যায় প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে অন্তর্নিহিত প্রেরণা ০.৫২ স্ট্যান্ডার্ড ডেভিয়েশন বৃদ্ধি পেয়েছে। এটি ইঙ্গিত দেয় প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষার্থীরা আত্মপ্রণোদনার মাধ্যমে কাজ সম্পন্ন করে। বিশেষভাবে। এটিদের আত্মনিয়ন্ত্রণ কম ছিল তাদের মধ্যে প্রেরণা আরও বেশি বেড়েছে<ref>Helle, Laura, Paivi Tynjara, Erkki Olkinora, Kristi Lonka. (2007). “Aint nothin’ like the real thing”. Motivation and study processes on a work-based project course in information systems design. ''British Journal of Educational Psychology,'' 70(2), 397-411.</ref>।
অনেক শিক্ষার্থীর মাঝে মেটাকগনিশন ও আত্মনিয়ন্ত্রণের অভাব রয়েছে, অথচ শিক্ষার্থীদের বিকাশে এই দক্ষতাগুলোর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে<ref name=":37" />। প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষায় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর সম্পর্কের মাধ্যমে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের উচ্চতর অনুসন্ধান পদ্ধতির মডেল হিসেবে ব্যবহার করে স্ক্যাফোল্ডিং প্রয়োগ করতে পারেন, ফলে মধ্যম ও উচ্চতর শ্রেণির শিক্ষার্থীরা অর্থপূর্ণ শিক্ষা ও পরিপক্ব ফলাফল দিতে সক্ষম হয়<ref name=":49">Joseph Krajcik , Phyllis C. Blumenfeld , Ronald W. Marx , Kristin M. Bass , Jennifer Fredricks & Elliot Soloway (1998) Inquiry in Project-Based Science Classrooms: Initial Attempts by Middle School Students, Journal of the Learning Sciences, 7:3-4, 313-350, DOI: 10.1080/10508406.1998.9672057</ref>। শিক্ষার্থীরা ধীরে ধীরে নিজেদের তৈরি করা দক্ষতার উপর বিশেষজ্ঞে পরিণত হয়।
প্রাসঙ্গিকভাবে, বাস্তব পরিস্থিতির সঙ্গে যত বেশি সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়, ততই পরিবেষ্টিত জ্ঞান কার্যকর হয়<ref name=":372" />। সেই দৃষ্টিকোণ থেকে প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা শিক্ষার্থীদের আত্মবিশ্বাস বাড়ায় যাতে তারা বিদ্যালয়ের বাইরেও অনুরূপ কাজ সফলভাবে করতে পারে। কারণ তারা বিষয়বস্তুকে জ্ঞানের কৃত্রিম সীমানা হিসেবে আর দেখে না। গর্জেস এবং গোকে (২০১৫) একটি অনলাইন জরিপের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের প্রধান প্রধান বিষয়গুলোর দক্ষতার আত্ম-উপলব্ধি এবং বাস্তব জীবনে তা প্রয়োগ করার সম্পর্কটি অনুসন্ধান করেন। শিক্ষার্থীরা সমস্যা সমাধানের দক্ষতা এবং তা বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করার বিষয়ে আত্মবিশ্বাস দেখিয়েছে, যেমন গর্জেস এবং গোকে<ref name=":41">Gorges, Julia, Thomas Goke. (2015). How do I Know what I can do? Anticipating expectancy of success regarding novel academic tasks. ''British Journal of Educational Psyschology,'' 85(1), 75-90.</ref> উল্লেখ করেন। যারা প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা অনুসরণ করেছে, তাদের আত্ম-দক্ষতা এবং গণিত (এসডি .৭৭), ইতিহাস (এসডি .৭২) ইত্যাদি বিষয়গুলোতে দক্ষতা সম্পর্কে আত্ম-ধারণা বৃদ্ধি পেয়েছে<ref name=":41" />। তাই শিক্ষার্থীরা শিক্ষাবহির্ভূত পরিবেশেও বিষয়ভিত্তিক জ্ঞান প্রয়োগে বেশি আত্মবিশ্বাসী হয়। এছাড়া, কোর্স শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এবং ১২ সপ্তাহ থেকে ২ বছরের মধ্যে শিক্ষার্থীদের তুলনায় প্রাপ্ত ফলাফল থেকে বোঝা যায়, প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা জ্ঞান ধরে রাখতে অনেক বেশি সহায়ক<ref name=":41" />।
প্রযুক্তির ব্যবহার শিক্ষার্থীদের একটি বেশি বাস্তব অভিজ্ঞতা দেয়। কারণ এতে ডেটা, ব্যাপক ইন্টারঅ্যাকশন এবং সহযোগিতা থাকে, এবং বাস্তব দুনিয়ায় ব্যবহৃত সামগ্রীর অনুকরণ করে<ref name=":372" />। প্রযুক্তির মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা থেকে আরও বেশি উপকার পায়। কারণ এতে জ্ঞান অনুসন্ধানে স্বায়ত্তশাসন এবং দলের সদস্যদের সঙ্গে সংযোগ তৈরি হয়। শিক্ষার্থীরা সৃজনশীল হয়। কারণ তাদের প্রকৃত সমস্যার জন্য নতুন নতুন সমাধান বের করতে হয়। উদাহরণস্বরূপ, হাং ও হোয়াং-এর মতে<ref>Hung, C.-M., Hwang, G.-J., & Huang, I. (2012). A Project-based Digital Storytelling Approach for Improving Students' Learning Motivation, Problem-Solving Competence and Learning Achievement. ''Educational Technology & Society'', 15 (4), 368–379. </ref>, প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা-এর আওতায় ডিজিটাল স্টোরিটেলিং ব্যবহার করে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গ্লোবাল ওয়ার্মিং বিষয়ে একটি নির্দিষ্ট প্রশ্নের উত্তর খোঁজার জন্য ছবি সংগ্রহ করার কাজ পরীক্ষার ফলাফলে তাৎপর্যপূর্ণ উন্নতি ঘটায় (এসডি ০.৬৪)। শিক্ষার্থীদের জ্ঞান খুঁজে বের করতে সাধারণত বিভিন্ন বিষয়ে পেরিয়ে যেতে হয়, ফলে তারা বহুমাত্রিক জ্ঞান ব্যবহার করে সমস্যার সমাধান তৈরি করে।
=== প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা বাস্তবায়নে শিক্ষকদের প্রাপ্ত চ্যালেঞ্জ ===
এই ধরনের শিক্ষণ পদ্ধতির বিরুদ্ধে প্রধান অভিযোগ হলো, প্রকল্পটি অগোছালো হয়ে যেতে পারে এবং সমস্যা সমাধানের জন্য যথাযথ শ্রেণিকক্ষ সময় নাও থাকতে পারে। অনেক শিক্ষকের মধ্যে প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা উপেক্ষিত হয় কারণ তারা এটি প্রয়োগ করার জন্য প্রশিক্ষণ বা প্রাসঙ্গিক জ্ঞান পায় না। প্রযুক্তির মাধ্যমে কার্যকর মূল্যায়নের জন্য অতিরিক্ত ব্যয় শিক্ষকদের নিরুৎসাহিত করে<ref name=":42">Efstratia, Douladeli. (2014). Experiential education through project based learning. ''Procedia – Social and Behavioral Sciences''. 152, 1256-1260.</ref>। সমালোচকদের মতে, এই তথ্যগুলো বক্তৃতাভিত্তিক পদ্ধতিতেও প্রদান করা যায় এবং ফলাফল ততটাই কার্যকর হতে পারে। এছাড়া, শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষে সময় নষ্ট করতে পারে এবং যদি তারা ক্রমাগত প্রকল্প ও শিক্ষার প্রতি মনোযোগ না দেয়, তবে প্রকল্পটি সফল হবে না। প্রচলিত পদ্ধতিতে শিক্ষা প্রদানকারী শিক্ষকরা প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা-কে চ্যালেঞ্জিং মনে করেন। কারণ এতে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংযোগ রক্ষা এবং সময় ব্যবস্থাপনা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে—যা সকল শিক্ষকের জন্য সহজ নয়<ref name=":42" />। ব্লুমেনফেল্ড প্রমুখ (১৯৯৮) বলেন প্রকৃত সফলতা তখনই আসে, যখন প্রকল্পটি একটি সংগঠিত কাঠামোর মধ্যে হয়। এখানে শিক্ষক মডেলিং, উদাহরণ, কৌশল, নির্দেশিকা প্রদান, কার্যক্রম চলাকালীন প্রতিক্রিয়া এবং কাজ সংশোধনের সুযোগ দেন<ref name=":492" />।
=== শিক্ষার্থীদের সমালোচনামূলক চিন্তনের মাধ্যমে খাঁটি ফলাফলের প্রয়োজন ===
[[চিত্র:Framework_for_21st_Century_Learning.jpg|থাম্ব|একবিংশ শতাব্দীর শিক্ষার কাঠামো]]
প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা বিভিন্ন বিষয়ে প্রযোজ্য, বিশেষ করে একবিংশ শতকের শিক্ষার পুনঃসংজ্ঞায়ন (বিভিন্ন স্তরের, প্রযুক্তিনির্ভর, সহযোগিতামূলক, আন্তঃবিষয়ক) প্রেক্ষাপটে। STEM - Science, Technology, Engineering, Mathematics (বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল, গণিত) একবিংশ শতকের এমন একটি শিক্ষা ক্ষেত্র যেখানে প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা প্রাকৃতিকভাবে বিভিন্ন বিষয়ের মধ্যে সেতুবন্ধন গঠন করে। STEM-এর মূল উদ্দেশ্য হলো মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার চ্যালেঞ্জ এবং প্রকৃত জীবনের দলভিত্তিক জটিল সমস্যা সমাধানে প্রস্তুত করা। স্বাস্থ্য, প্রকৌশল, কম্পিউটার নকশা এবং শিক্ষা সহ অনেক পেশাগত ক্ষেত্র প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা থেকে উপকৃত হতে পারে।
প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জ্ঞান সম্প্রসারণ এবং জটিল পরিস্থিতিতে সফলতা অর্জনের সুযোগ দেয়<ref name=":43">Capraro, R. M., Capraro, M. M., & Morgan, J. (2013). STEM Project-Based Learning: An Integrated Science, Technology, Engineering, and Mathematics (STEM) Approach (2nd Edition). New York, NY: Sense. </ref>। এ ছাড়াও, শিক্ষার্থীরা নিজের শক্তি ও দুর্বলতা সম্পর্কে গভীর উপলব্ধি গড়ে তোলে<ref name=":43" />। ফলাফল হিসেবে একজন শিক্ষার্থী গড়ে ওঠে যে চিন্তাশীল, বিশ্লেষণধর্মী এবং বাস্তব পরিস্থিতিতে তা প্রয়োগে সক্ষম। শিক্ষার্থীর তৈরি চূড়ান্ত পণ্য একটি বাস্তবিক ফলাফল প্রদান করে। এটি দায়িত্বশীলতা এবং প্রকল্পের নির্দেশনা ও সীমাবদ্ধতাকে মান্য করে<ref name=":43" />।
শিক্ষার্থীরা নির্দিষ্ট ফলাফলের দিকে মনোযোগ দেয়, কাজের গণ্ডি বোঝে এবং একটি কার্যকর উপস্থাপনযোগ্য সামগ্রী তৈরি করে। এর মাধ্যমে তারা উচ্চ-প্রযুক্তি, দ্রুতগামী কর্মপরিবেশে কাজ করতে প্রস্তুত হয় যেখানে উদ্ভাবন, সহযোগিতা এবং ফলাফলভিত্তিক কার্যসম্পাদন অপরিহার্য।
প্রযুক্তি এমন একটি ক্ষেত্র যেখানে প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা বাস্তব প্রয়োগে দক্ষতা গড়ে তোলে, ফলে নতুন প্রযুক্তির দ্বারা প্রদত্ত জ্ঞানীয় সরঞ্জামগুলো প্রকল্পে অপরিহার্য হলে তা কার্যকর প্রমাণিত হয়<ref name=":482" />। উদাহরণস্বরূপ, যেসব কম্পিউটার নকশাকাররা পূর্বে থেকে কিছু জ্ঞান রাখেন তারা হয়তো অপারেটিং সিস্টেম ট্রাবলশুট করতে পারেন, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে বিষয়বস্তু কিভাবে একত্রে কাজ করে তা বোঝেন না এবং তাদের দক্ষতা সম্পর্কে ভুল ধারণা থাকে<ref>Gary, Kevin. (2013), Project-Based Learning. ''Computer.'' (Vol 48:9). Tempe: Arizona State. </ref>।
== প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষার একটি উপশ্রেণী হিসেবে নকশা-থিংকিং ==
=== বাস্তব জীবনের সমস্যার সমাধানে ব্যবহারিক নকশার প্রক্রিয়া ব্যবহার ===
[[চিত্র:Design_thinking.png|থাম্ব|নকশা চিন্তন-এ শিক্ষার্থীকে একটি নির্দিষ্ট কাঠামোগত প্রক্রিয়ার মধ্যে কাজ করে একটি নকশা চ্যালেঞ্জ সমাধান করতে হয়]]
''[[চিন্তন ও নির্দেশনা/সমস্যা সমাধান, সমালোচনামূলক চিন্তন ও যুক্তি#glos Design Thinking|নকশা চিন্তন]]'' হলো একটি শিক্ষাদান পদ্ধতি। এটি প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষার একটি শাখা হিসেবে চ্যালেঞ্জভিত্তিক সমস্যা সমাধানের কন্সট্রাকশনিস্ট পদ্ধতিতে শেখানোর উপর ভিত্তি করে তৈরি। এটি এমন একটি শাখার সমন্বয় হিসেবে বোঝা উচিত, যেগুলোর জ্ঞানচর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে নকশা<ref name=":44">Cross, N. (2007). ''Designerly ways of knowing''. Basel, Switzerland: Birkha¨user.</ref>।
নকশা চিন্তনের একটি উদাহরণ হতে পারে, যখন শিক্ষার্থীরা বাস্তব জীবনের কোনো সমস্যার সমাধান খুঁজছে। তবে প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষার চেয়ে এটি একটু ভিন্ন; নকশা চিন্তন শিক্ষার্থীদেরকে একটি নির্দিষ্ট কাঠামোগত প্রক্রিয়ার মধ্যে থেকেই একটি ব্যবহারিক সমাধান তৈরি করতে বলে (চিত্র ৩), যেমন—একটি গ্রামে নিরাপদ পানীয় পানি পৌঁছে দেওয়ার উপায় খুঁজে বের করা। নকশাকাররা সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক দিকগুলো বিবেচনা করবে, তবে তারা এমন একটি কার্যকর প্রোটোটাইপ তৈরি করবে যা বাজারে আনা সম্ভব। ফলে একটি পানির সরবরাহ ব্যবস্থা তৈরি করা যেতে পারে। এটি স্থানীয় উপকরণ, অর্থায়ন এবং নীতিমালার সীমার মধ্যে থেকে কাজ করবে।
এই পদ্ধতিতে সহানুভূতি, সমস্যা সংজ্ঞায়ন, ধারণা তৈরি, প্রোটোটাইপ এবং পরীক্ষা — এই মূলনীতি অনুসরণ করে নকশাের চ্যালেঞ্জ পূরণ করা হয়। এখানে একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য (সমাধান) নিয়ে শুরু করে, নকশার মাধ্যমে সৃজনশীল এবং ব্যবহারিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের ওপর জোর দিয়ে ভবিষ্যতের উন্নত ফলাফল অর্জনের চেষ্টা করা হয়। এটি এমন এক ধরণের চিন্তা প্রক্রিয়া। এখানে সমস্যার সূক্ষ্ম দিকগুলো বিশ্লেষণ করে গোপন উপাদানগুলো খুঁজে বের করা হয় একটি কার্যকর সমাধানের জন্য। অর্জিত লক্ষ্য তখন পরবর্তী লক্ষ্য নির্ধারণ ও সমস্যা সমাধানের জন্য প্রাথমিক ভিত্তি হিসেবে কাজ করে<ref name=":44" />।
[[চিত্র:DesignThinking.ogv|থাম্ব|নকশা চিন্তন - ''শিশুদের ব্যায়ামে উৎসাহ দিতে একটি মুভমেন্ট সেন্সর ডিভাইস নকশা'' করার উদাহরণ]]
এই ধরণের শিক্ষাগত পদ্ধতির ভিত্তি হলো, আধুনিক বিশ্ব আসলে কৃত্রিম গঠনে পূর্ণ, এবং আমাদের সভ্যতা ঐতিহাসিকভাবে এই ধরনের কৃত্রিম জিনিসের ওপর নির্ভর করে প্রযুক্তিগত অগ্রগতি অর্জন করেছে। নকশা চিন্তনের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা হারবার্ট সাইমন বলেন, আজকের শিক্ষার্থীদের ঘেরা বিশ্ব প্রাকৃতিক জগতের চেয়ে অনেক বেশি কৃত্রিম<ref>Simon, H. A. (1996). ''The sciences of the artificial''. Cambridge, MA: MIT Press.</ref>। নকশা চিন্তনের চ্যালেঞ্জ হলো শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল চিন্তাভাবনার ক্ষমতা বাড়িয়ে উদ্ভাবনী দক্ষতা গড়ে তোলা<ref>Aflatoony, Leila & Ron Wakkary, (2015). ''Thoughtful Thinkers: Secondary Schooler’s Learning about Design Thinking.'' Simon Fraser University: Surrey, BC.</ref>।
নকশা চিন্তন একটি টুল হিসেবে ব্যবহৃত হয় প্রচলিত শিক্ষামূলক প্রকল্পগুলোকে প্রকল্প ভিত্তিক চিন্তার কাঠামোয় রূপান্তর করতে। ভ্যান মেরিয়েনবোয়ার (২০০৪) পুরো কাজ অনুশীলনের জন্য নকশা শেখাকে একটি কাঠামো হিসেবে দেখেছেন। এটি শিক্ষার্থীদের জন্য অন্তর্নিহিত জ্ঞানীয় চাপ কমায় এবং তারা সহজ উদাহরণের মাধ্যমে অনুশীলন করতে পারে<ref name=":402" />। এজন্যই নকশা চিন্তন বর্তমানে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। কারণ এটি শিক্ষার্থীর জানা ও শেখার মধ্যে সেতুবন্ধন গড়ে তোলে যা একবিংশ শতাব্দীর দক্ষতা অর্জনের প্রেক্ষাপটে গুরুত্বপূর্ণ। এই প্রক্রিয়ার একটি আরেকটি উদাহরণ হলো এমন একটি পণ্য নকশা করা। এটি শিশুদের শারীরিক কার্যকলাপ বাড়াতে সহায়তা করবে (উপরে উল্লিখিত ভিডিওটি দেখুন)। নিচে নকশা চিন্তনের কাঠামো ব্যবহার করে তা ব্যাখ্যা করা হয়েছে:
{| border="1"
|+'<nowiki/>'''''নকশা চিন্তনের উদাহরণ - শিশুদের ব্যায়ামে উৎসাহ দিতে একটি মুভমেন্ট সেন্সর ডিভাইস তৈরি''''''
!নকশা ধাপ
!ফলাফল
|-
|[[চিত্র:Empathy_-_Design_Thinking.png|কেন্দ্র|ফ্রেমহীন|113x113পিক্সেল]]
|'''মানুষদের থেকে শেখা''' - "কিভাবে একটি মুভমেন্ট সেন্সর ডিভাইস ব্যবহারে আগ্রহ সৃষ্টি করা যায়?" যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে শিশুদের তাদের পছন্দ, অভ্যাস, বিরক্তির কারণ জানাতে বলা হয়। গড়পড়তা শিশুদের পাশাপাশি অতিমাত্রায় সক্রিয় এবং অতি নির্জীব শিশুদেরও সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়। এই চরমপন্থী শিশুরা সাধারণ শিশুদের চাহিদা আরও ভালোভাবে ব্যাখ্যা করতে সক্ষম।
|-
|[[চিত্র:Define_-_Design_Thinking.png|কেন্দ্র|ফ্রেমহীন|111x111পিক্সেল]]
|'''ধরন খোঁজা''' - সাক্ষাৎকারের ফলাফল পোস্ট-ইট নোটে লিখে সংগঠিত করা হয়। এমন ধরন খোঁজা হয় যা সুযোগ তৈরি করে। কেউ কেউ বলেছে তারা খেলাধুলার সময় সামাজিক হতে চায়, আবার কেউ বলেছে তারা ব্যায়ামের সময় অন্যদের সাথে কথা বলতে পছন্দ করে।
|-
|[[চিত্র:Ideate_-_Design_Thinking.png|কেন্দ্র|ফ্রেমহীন|111x111পিক্সেল]]
|'''নকশা নীতিমালা''' - গবেষণার মাধ্যমে কিছু নির্দিষ্ট নকশা নীতিমালা তৈরি করা হয়েছে, যেমন—"সব সময় সামাজিক মিথস্ক্রিয়া সহজ করা", "প্রথমেই পুরস্কার বৃদ্ধি করে অংশগ্রহণ বাড়ানো", "শুধু শিশু নয়, পারিবারিকভাবে সক্রিয় হওয়ার প্রেরণা দেওয়া", "বাড়িতে থাকা শিশুদের প্রতি বিশেষ নজর দেওয়া"। এই নীতিমালাগুলো প্রোটোটাইপ নকশাের দিকনির্দেশনা হিসেবে কাজ করে।
|-
|[[চিত্র:Prototype_-_Design_Thinking.png|কেন্দ্র|ফ্রেমহীন|111x111পিক্সেল]]
|'''বাস্তব রূপ দেওয়া''' - এই নীতিমালাগুলো কিভাবে একটি ব্যবহারযোগ্য পণ্যে রূপান্তর করা যায়? এই নীতিমালার ভিত্তিতে প্রোটোটাইপ তৈরি করা হয়।
|-
|[[চিত্র:Test_-_Design_Thinking.png|কেন্দ্র|ফ্রেমহীন|111x111পিক্সেল]]
|'''পুনরাবৃত্তি করা''' - কাগজ-কলমে ইলেকট্রনিক ডিভাইসের ইন্টারফেসের মকআপ তৈরি করা হয় এবং শক্ত কাগজ ও টেপ ব্যবহার করে যন্ত্র তৈরি করা হয়। শিশুদের জন্য ডিজিটাল ও বাস্তব মডেল তৈরি করে তা পরীক্ষা ও মতামত নেওয়া হয়। চূড়ান্ত ফলাফল হয় একটি পরিশোধিত মডেল। এটি এই প্রতিক্রিয়ার ভিত্তিতে তৈরি।
|}
=== কৃত্রিম জগতে নকশা নিয়ে সমালোচনামূলক চিন্তা ===
নকশা চিন্তনের ইতিহাস নির্দিষ্ট কিছু পণ্ডিতের মাধ্যমে চিহ্নিত করা যায়, যেমন হারবার্ট সাইমন, ডোনাল্ড শন এবং নাইজেল ক্রস। সাইমন ১৯৬৯ সালে শিক্ষার জগতে পেশাগত ফাঁক নিয়ে তার গবেষণা প্রকাশ করেন। তিনি লক্ষ্য করেন, প্রাকৃতিক বিজ্ঞানের মতো, কৃত্রিম জগতে জটিল বিষয়গুলোর সরলতা উদঘাটন করাও বিজ্ঞানীদের মতোই প্রয়োজন<ref name=":45">Koh, Joyce Hwee Ling, Chin Sing Chai, Benjamin Wong, & Huang-Yao Hong. (2015) ''Design Thinking for Education.'' Singapore: Springer Science + Business Media.</ref>। এর মধ্যে শুধু বিজ্ঞান নয়, কলা ও মানববিদ্যার প্রক্রিয়াও অন্তর্ভুক্ত হওয়া উচিত। কারণ সঙ্গীতের মধ্যেও গণিতের মতো কাঠামোগত প্যাটার্ন আছে (সাইমন, ১৩৬)। তাই সবার সৃজনশীল নকশা একটি সাধারণ ভাষা ও তার প্রয়োগের ওপর ভিত্তি করে।
ডোনাল্ড শন, যিনি এমআইটি-তে আরবান প্ল্যানিং ও শিক্ষার ফোর্ড অধ্যাপক ছিলেন, নকশা চিন্তন-কে একটি শিল্প এবং অন্তর্জ্ঞানভিত্তিক সমস্যা সমাধানের প্রক্রিয়া হিসেবে বর্ণনা করেন<ref name=":46">Schon, D. A. (1983). ''The reflective practitioner: How professionals think in action'' (Vol. 5126). New York, NY: Basic Books.</ref>। শন উপলব্ধি করেন, নকশা প্রক্রিয়ার একটি অংশ হলো সেই “ক্রিয়ার মধ্যে প্রতিফলন” যা সমালোচনামূলক চিন্তা ও ধারণা তৈরির সময় আবশ্যক। সমস্যা সমাধানের সমাধান কেবল পাঠ্যবইয়ে থাকে না; বরং নকশাকারদের নিজস্ব প্রেক্ষাপট অনুধাবনের ক্ষমতার মধ্যেই তা নিহিত থাকে<ref name=":45" />।
ক্রস এই পূর্ববর্তী ধারণাগুলোকে শিক্ষার প্যাডাগজিতে রূপান্তর করেন এবং বলেন নকশা চিন্তন বিজ্ঞানের পাশাপাশি মানববিদ্যায়ও সাধারণ শিক্ষার অংশ হওয়া উচিত<ref name=":44" />। তিনি মনে করেন, শিক্ষার্থীরা যদি এই চিন্তার পদ্ধতি ব্যবহার করে উৎসাহিত হয়, তবে তাদের নন-ভার্বাল চিন্তা ও যোগাযোগ দক্ষতা উন্নত হবে<ref name=":44" />।
=== বিঘ্ন ঘটানো অর্জন হিসেবে সমালোচনামূলক চিন্তা ===
নকশা চিন্তন একটি নির্দিষ্ট প্রবাহ অনুসরণ করে — তাত্ত্বিক থেকে ব্যবহারিক দিকে। এটি কার্যকর শিক্ষার্থী সমাধান উদ্ভাবনের জন্য নির্দেশিত শিক্ষার ওপর নির্ভর করে এবং শুধু অনুসন্ধানের ওপর নয়। কারণ কেবল অনুসন্ধান দীর্ঘমেয়াদী স্মৃতির সীমা অতিক্রম করতে পারে না বলে মনে করা হয়<ref name=":44" />। নকশা চিন্তন শিক্ষার্থীকে তাদের প্রক্রিয়া সম্পর্কে মেটা-অ্যানালাইসিস করতে বাধ্য করে। সৃজনশীলতা (উদ্ভাবনী চিন্তা) নকশা চিন্তন-এ স্পষ্ট হয়, যখন এটি স্মৃতি উদ্দীপনায় মনোযোগ বিভাজন এবং মনোযোগ কেন্দ্রীকরণের মাধ্যমে উদ্ভাসিত হয়<ref name=":44" />। হু প্রমুখ (২০১০) একটি গবেষণায় চার বছরের একটি নির্দিষ্ট পাঠদান পদ্ধতিতে প্রাথমিক শিক্ষার্থীদেরকে যৌক্তিক চিন্তার মাধ্যমে নকশা প্রকল্পের জন্য ‘ডিসরাপটেড থিংকিং’ প্রয়োগ করতে শেখান। ফলাফল থেকে দেখা যায় যে তাদের চিন্তার ক্ষমতা (এসডি .78) বৃদ্ধি পায় এবং এটি দীর্ঘমেয়াদে শিক্ষাগত সাফল্য বৃদ্ধি করে<ref>Hu, Weiping, Philip Adey, Xiaojuan Jia, Jia Liu, Lei Zhang, Jing Li, Xiaomei Dong. (2010). Effects of a “Learn to Think” Intervention programme on primary school students. ''British Journal of Educational Psychology''. 81(4) 537-557.</ref>। এটি সৃজনশীল প্রক্রিয়ায় বিচ্ছিন্ন ও সমন্বিত চিন্তার ব্যবহার প্রমাণ করে। এটি দীর্ঘমেয়াদি স্মৃতির সঙ্গে সম্পর্কিত উচ্চ পর্যায়ের চিন্তার ইঙ্গিত দেয়। নকশা চিন্তন স্পষ্টভাবে শিক্ষার্থীদের এই ক্ষমতা অর্জনে সহায়তা করে।
=== নকশাকাররা কি বৈজ্ঞানিক নন? ===
নকশা চিন্তনের সমালোচকরা বলেন, নকশা নিজেই কোনো বিজ্ঞান নয় কিংবা কোনো জ্ঞানীয় শেখার পদ্ধতি নয়; এটি অন্তর্জ্ঞানভিত্তিক হওয়ায় অবৈজ্ঞানিক কাজ হিসেবে বিবেচিত। শিক্ষার্থীরা এখানে প্রকৃত জ্ঞানীয় অনুশীলনের (যেমন—বৈজ্ঞানিক যুক্তি প্রয়োগ) মধ্যে থাকে না। তবে ক্রস-এর বিশ্বাস হলো নকশা নিজেই একটি বিজ্ঞান। এটি নিয়মিত ও নির্ভরযোগ্য পদ্ধতিতে অধ্যয়ন করা যায়<ref name=":44" />। এছাড়াও শন বলেন, নকশা চিন্তন-এ তত্ত্ব ও অনুশীলনের মধ্যে সংযোগ রয়েছে। এর ফলে একটি তাত্ত্বিক ধারণা বাস্তব প্রোটোটাইপে রূপান্তরিত হয়<ref name=":46" />। নকশা চিন্তন হলো একটি বৈজ্ঞানিক জ্ঞানীয় অনুশীলন। এর মধ্যে রয়েছে প্রতিফলনমূলক অনুশীলন ও মেটা-চিন্তা। এই পদ্ধতি সেই প্রাকৃতিক ব্যবধান পূরণ করে। এটি তত্ত্ব ও বাস্তবতার মধ্যে দেখা যায়, এবং শিক্ষার্থীকে প্রচলিত পাঠ্যবইয়ের সীমা অতিক্রম করে নতুন কিছু করার সুযোগ দেয়। নকশা চিন্তন ক্লায়েন্ট বা বিশেষজ্ঞদের অনুমানভিত্তিক প্রতিক্রিয়ার পরিবর্তে এমন ফর্মে রূপ নেয় যা অপ্রত্যাশিত হতে পারে<ref name=":46" />।
=== একবিংশ শতাব্দীর শিক্ষার্থী ও বিচিত্র চিন্তার প্রয়োজন ===
নকশা চিন্তন একবিংশ শতাব্দীর প্রযুক্তি-ভিত্তিক দক্ষতার জন্য উপযুক্ত। এটি মূলত প্রযুক্তির প্রয়োগের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল ও সমালোচনামূলক দক্ষতা গড়ে তুলতে সহায়তা করে। নকশা হলো একটি আলাদা ধরনের চিন্তা। এটি একটি নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য পূরণের জন্য গুণগত সম্পর্ক তৈরি করে<ref name=":47">Wells, Alastair. (2013). The importance of design thinking for technological literacy: a phenomenological perspective''.'' ''International Journal Technol Des Educ.'' (23:623-636). DOI 10.1007/s10798-012-9207-7.</ref>। আরও স্পষ্ট করে বললে, এক বিশ্ব যা দ্রুত প্রযুক্তিনির্ভর হয়ে উঠছে, নকশা চিন্তন শিক্ষার্থীদের ‘অনুভবে নির্ভর করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ’, সূক্ষ্মতা বোঝার ক্ষমতা এবং তাদের কাজের পরিণতি মূল্যায়নের সক্ষমতা তৈরি করে<ref name=":47" />। নকশাকারকে প্রচলিত সমাধানের বাইরে চিন্তা করতে হয় এবং বর্তমান প্রযুক্তি ব্যবহার করতে জানতে হয়।
সুতরাং, নকশা চিন্তন ব্যবহারকারী শিক্ষার্থীরা প্রযুক্তির সমস্ত রূপকে সম্ভাব্য সমাধানের একটি প্রয়োগ হিসেবে বিবেচনা করে এগিয়ে যাচ্ছে। প্রোটোটাইপ তৈরি কেবল হার্ডওয়্যার প্রয়োগেই সীমাবদ্ধ নয়, এর মধ্যে সফটওয়্যার ব্যবহারের কথাও অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। অগমেন্টেড রিয়ালিটি এবং ভার্চুয়াল রিয়ালিটির মতো সর্বাধুনিক প্রযুক্তিও নকশা চ্যালেঞ্জের সমাধান হিসেবে গ্রহণযোগ্য হতে পারে।
ফলে, নকশা চিন্তনের নির্দিষ্ট প্রয়োগ সেইসব অধ্যয়নের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, যেগুলো প্রযুক্তিগত অভিযোজন এবং উদ্ভাবনের প্রয়োজন। বিশেষভাবে, K-12 BC নতুন পাঠ্যক্রম (২০১৬) তে ফলিত নকশা, দক্ষতা এবং প্রযুক্তির উপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। এখানে প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে তাদের পুরো শিক্ষাজীবন জুড়ে নকশা চিন্তনের জ্ঞান থাকা এবং প্রযুক্তির অগ্রগতির জন্য এর প্রয়োগ থাকা জরুরি। সুতরাং, নকশা চিন্তন শিক্ষার্থীদের সমালোচনামূলক চিন্তার প্রক্রিয়ায় সম্পৃক্ত করার জন্য একটি প্রাসঙ্গিক ও অপরিহার্য উপাদান।
= যুক্তি =
যুক্তি প্রদান একটি প্রক্রিয়া। এর মাধ্যমে কোনো ধারণার পক্ষে বা বিপক্ষে যুক্তি সংগঠিত ও উপস্থাপন করা হয়; অর্থাৎ এটি যুক্তি তৈরি ও প্রদর্শনের একটি কাজ। স্পষ্ট যোগাযোগের পাশাপাশি সমালোচনামূলক চিন্তা একটি ভাল যুক্তির উপাদান। এটি এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে একজন ব্যক্তি যুক্তিসঙ্গতভাবে সমস্যা, বিষয় ও বিরোধের সমাধান করে এবং প্রশ্নগুলোর সমাধান খোঁজে <ref name="jonassen">Jonassen, D.H., & Kim, B. (2010). Arguing to learn ad learning to argue: design justifications and guidelines. Education Technology & Research Development, 58(4), 439-457. DOI 10.1007/s11423-009-9143-8.</ref>।
যুক্তি প্রদানের চর্চায় দুটি মাত্রা রয়েছে: সংলাপ এবং কাঠামো <ref name="macagno">Macagno, F., Mayweg-Paus, W., & Kuhn, D. (2014). Argumentation theory in Education Studies: Coding and Improving Students’ Argumentative Strategies. Topoi, 34, 523-537.</ref>। যুক্তিতর্কপূর্ণ আলোচনায় সংলাপ নির্দিষ্ট ভাষিক কার্যক্রমের উপর ভিত্তি করে – যেমন গ্রহণ, প্রত্যাখ্যান, খণ্ডন ইত্যাদি। এটি বক্তার অবস্থানকে এগিয়ে নিতে সাহায্য করে। একটি যুক্তির কাঠামো আলোচনার বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গিকে আলাদা করে এবং বক্তারা যেসব অবস্থানের পক্ষে যুক্তি দিচ্ছেন তা স্পষ্ট করে <ref name="macagno" />।
== শিক্ষকেরা প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষার বাস্তবায়নে চ্যালেঞ্জ অনুভব করেন ==
এই ধরনের শিক্ষার বিরুদ্ধে একটি প্রধান যুক্তি হলো প্রকল্পটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে পড়তে পারে এবং শ্রেণিকক্ষে যথাযথ সময় না পাওয়ায় কার্যকর সমাধান তৈরির সুযোগ নাও থাকতে পারে। শিক্ষকেরা নিজেরাই প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষারকে গুরুত্ব দেন না কারণ এর বাস্তবায়নে তাদের প্রশিক্ষণ ও প্রয়োজনীয় পটভূমিগত জ্ঞান নেই। প্রযুক্তির মাধ্যমে কার্যকর মূল্যায়ন দিতে আর্থিক সীমাবদ্ধতাও শিক্ষকদের নিরুৎসাহিত করে (এফস্ট্রাটিয়া, ২০১৪, পৃষ্ঠা ১২৫৮)। শিক্ষার্থীরা যে তথ্য অর্জন করে তা বক্তৃতাভিত্তিক শিক্ষা দিয়েও প্রদান করা যায় এবং সমালোচকদের মতে তেমনটাই কার্যকর। তদুপরি, ঝুঁকি হলো শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষে সময় অপচয় করে এবং যদি তারা নিয়মিতভাবে কাজ ও শিক্ষাসংক্রান্ত বিষয়ে মনোযোগী না থাকে, তবে প্রকল্পটি সফল হবে না। প্রচলিত শিক্ষাপদ্ধতির শিক্ষকেরা মনে করেন, প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা শিক্ষার্থীদের বিষয়বস্তুর সাথে সংযোগ রক্ষা এবং সময় ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব শিক্ষকের উপর ফেলে। এটি সকল শিক্ষক রপ্ত করতে পারেন, এমন কোনো শিক্ষাদান পদ্ধতি নয় যা (এফস্ট্রাটিয়া, ২০১৪, পৃষ্ঠা ১২৫৮)।
== সমালোচনামূলক চিন্তার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের আসল ফলাফলের প্রয়োজন ==
প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা বিভিন্ন বিষয়ে প্রযোজ্য কারণ এর রয়েছে শিক্ষায় বহু প্রয়োগ এবং এটি একবিংশ শতাব্দীর শিক্ষার পুনঃসংজ্ঞায়নের (বিভিন্নীকরণ, প্রযুক্তিনির্ভরতা, সহযোগিতা, আন্তঃবিষয়কতা) সঙ্গে বিশেষভাবে প্রাসঙ্গিক। STEM (বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল, গণিত) হলো এমন একটি একবিংশ শতাব্দীর শিক্ষা পদ্ধতি যা প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা ব্যবহারকারী শিক্ষকদের কাছ থেকে উপকৃত হয় কারণ এটি স্বাভাবিকভাবেই বিভিন্ন ক্ষেত্রের মধ্যে সেতুবন্ধ তৈরি করে। STEM এর লক্ষ্য হলো মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার জন্য প্রস্তুত করা এবং তারা যেন বাস্তব জীবনের কাজের জগতে দলবদ্ধভাবে জটিল সমস্যা সমাধান করতে সক্ষম হয়। চিকিৎসা, প্রকৌশল, কম্পিউটার নকশা ও শিক্ষা সহ অনেক সম্ভাব্য পেশা প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা থেকে উপকৃত হতে পারে।
প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের তাদের জ্ঞান বিস্তারের সুযোগ দেয় এবং উচ্চ-চাপের পরিস্থিতিতে সাফল্য অর্জনের পথ তৈরি করে (ক্যাপ্রারো, প্রমুখ, ২০১৩, পৃষ্ঠা ২)। উপরন্তু, এই শিক্ষার্থীরাই তাদের শক্তি ও সীমাবদ্ধতার প্রতি আত্মবিশ্লেষণমূলক দৃষ্টিভঙ্গি অর্জন করে (ক্যাপ্রারো, প্রমুখ, ২০১৩, পৃষ্ঠা ২)। ফলাফল হলো এমন এক শিক্ষার্থী যে সমালোচনামূলক চিন্তায় দক্ষ এবং বাস্তব পরিস্থিতিতে তা প্রয়োগ করার সুযোগ পেয়েছে। উপরন্তু, একটি সমাপ্ত পণ্য নির্মাণ শেখার আসল ফলাফলের উপস্থাপনার একটি বাস্তব প্রত্যাশা। এই পণ্যের ফলাফল দায়বদ্ধতা দাবি করে এবং শিক্ষকের প্রত্যাশা ও প্রকল্পের সীমাবদ্ধতার প্রতি শিক্ষার্থীর অনুগত্য দেখায় (ক্যাপ্রারো, প্রমুখ, ২০১৩, পৃষ্ঠা ২)। শিক্ষার্থী নির্দিষ্ট ফলাফলের উপর মনোযোগ দেয়, কাজের পরিসীমা বোঝে এবং একটি কার্যকর বস্তু উপস্থাপন করে। এর তাৎপর্য হলো শিক্ষার্থীরা উচ্চ-প্রযুক্তিসম্পন্ন, দ্রুতগামী কর্মপরিবেশের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকবে যেখানে উদ্ভাবন, সহযোগিতা এবং ফলাফলের ভিত্তিতে তৈরি পণ্যই সফলতার মূল।
প্রযুক্তি এমন একটি ক্ষেত্র যেখানে প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা ব্যবহার করে বাস্তব জগতে প্রয়োগযোগ্য দক্ষতা গড়ে তোলা যায়। উদাহরণস্বরূপ, কম্পিউটার সিস্টেম নকশাকাররা পূর্বের জ্ঞান থাকায় হয়তো একটি অপারেটিং সিস্টেমের ত্রুটি খুঁজে বের করতে পারেন, কিন্তু তারা সত্যিই বোঝেন না কিভাবে বিভিন্ন উপাদান একসাথে কাজ করে, ফলে তারা তাদের দক্ষতা নিয়ে ভুল আত্মবিশ্বাসে ভোগেন (গ্রে, ২০১৩, পৃষ্ঠা ১)।
== বিঘ্নকারী সাফল্য হিসেবে সমালোচনামূলক চিন্তা ==
নকশা চিন্তন একটি নির্দিষ্ট ধারা অনুসরণ করে যা তত্ত্ব থেকে বাস্তবে রূপান্তরিত হয়। এটি কার্যকর শিক্ষার্থী সমাধান প্রচারে নির্দেশিত শিক্ষার উপর নির্ভর করে এবং অনুসন্ধানের সীমা অতিক্রম করে কারণ অনেক গবেষক মনে করেন, শুধুমাত্র অনুসন্ধান কার্যকর নয় কারণ এটি দীর্ঘমেয়াদী স্মৃতির সীমা অতিক্রম করে (ল্যাজোন্ডার এবং হার্মসেন, ২০১৬, পৃষ্ঠা ২)। নকশা চিন্তন শিক্ষার্থীকে তাদের প্রক্রিয়ার উপর মেটা-অ্যানালাইসিস করতে উৎসাহিত করে। সৃজনশীলতা (উদ্ভাবনী চিন্তা) নকশা চিন্তনে স্পষ্ট হয়। এটি মনোযোগের বিস্তার এবং মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করার মাধ্যমে স্মৃতিকে উদ্দীপিত করে (গোল্ডস্মিট, ২০১৬, পৃষ্ঠা ১)। হু প্রমুখ (২০১০) একটি প্রক্রিয়া তৈরি করেন যাতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নির্দিষ্ট নকশা প্রকল্পের প্রতি যৌক্তিক সমালোচনামূলক চিন্তা প্রয়োগ করে, নির্দিষ্ট পাঠ পদ্ধতির মাধ্যমে চার বছরের সময়কালে। গবেষণার ফলাফল দেখায়, এই শিক্ষার্থীদের চিন্তার ক্ষমতা (এসডি .78) বৃদ্ধি পায় এবং এই প্রভাব দীর্ঘমেয়াদে অ্যাকাডেমিক সাফল্য বৃদ্ধিতে সহায়ক হয় (হু, প্রমুখ। ২০১০, পৃষ্ঠা ৫৫৪)। এটি সৃজনশীল প্রক্রিয়ায় বিচিত্র ও সঙ্কলিত চিন্তার ব্যবহার নির্দেশ করে এবং এই দুই ধরনের চিন্তা সৃজনশীলতায় গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করা হয়েছে (গোল্ডস্মিট, ২০১৬, পৃষ্ঠা ২)। এটি উচ্চ স্তরের চিন্তার প্রতিফলন এবং দীর্ঘমেয়াদী স্মৃতির সাথে সংশ্লিষ্ট। নকশা চিন্তন বিশেষভাবে শিক্ষার্থীদের উন্নয়নে সক্ষমতা প্রদর্শন করে।
== যুক্তি প্রদানের প্রক্রিয়া ==
=== যুক্তির স্তরসমূহ ===
মানসিক প্রক্রিয়া যা একজনকে যুক্তি তৈরি, বিশ্লেষণ ও মূল্যায়নে সক্ষম করে <ref name="horn">Hornikx, J., & Hahn, U. (2012). Reasoning and argumentation: Towards an integrated psychology of argumentation. Thinking & Reasoning, 18(3), 225-243. DOI: 10.1080/13546783.2012.674715.</ref>। এই স্তরগুলো এই অধ্যায়ে পরে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হবে।
{| class="wikitable"
|১. '''উৎপাদন'''
|কীভাবে কেউ একটি দৃষ্টিভঙ্গি, মতামত বা দাবির পক্ষে যুক্তি তৈরি করে।
|-
|২. '''বিশ্লেষণ'''
|প্রস্তাবিত যুক্তিগুলোর বৈধতা মূল্যায়ন।
|-
|৩. '''মূল্যায়ন'''
|একটি যুক্তির বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি অনুসন্ধান।
|}
== শিক্ষায় যুক্তি প্রদানের প্রভাব ==
যুক্তি প্রদান কেবল সমালোচনামূলক চিন্তা এর বিকাশকে প্রভাবিত করে না, বরং শিক্ষার অন্যান্য দিকেও প্রভাব ফেলে। উদাহরণস্বরূপ, একটি জুনিয়র হাই স্কুলের বিজ্ঞান শ্রেণিতে পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, শিক্ষার্থীরা যুক্তি প্রদানে অংশগ্রহণ করলে তারা তাদের পূর্বজ্ঞান ও অভিজ্ঞতার উপর নির্ভর করে <ref name="aufs">Aufschnaiter, C., Erduran, S., Osborne, J., & Simon, S. (2008). Arguing to learn and learning to argue: Case studies of how students' argumentation relates to their scientific knowledge. Journal of Research in Science Teaching, 45(1), 101-131. doi:10.1002/tea.20213</ref>। কেবল পূর্বজ্ঞান প্রয়োগই নয়, যুক্তি প্রদান শিক্ষার্থীদের জ্ঞানকে একত্রিত করতে এবং বিষয়টির উচ্চতর পর্যায়ে বোঝাপড়া বাড়াতে সাহায্য করে <ref name="aufs" />। এগুলো শিক্ষায় যুক্তি প্রদানের প্রভাবের কয়েকটি উদাহরণ মাত্র।
ভিডিও: শিক্ষায় যুক্তি: https://www.youtube.com/watch?v=YHm5xUZmCDg
= সমালোচনামূলক চিন্তা ও যুক্তির মধ্যে সম্পর্ক =
যুক্তি প্রদান ও সমালোচনামূলক চিন্তা শিক্ষাদানে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কযুক্ত বলে মনে হয়। অনেক গবেষণায় এই দুটি উপাদান একে অপরকে কিভাবে প্রভাবিত করে তা দেখানো হয়েছে। তথ্য উপাত্ত অনুযায়ী, যখন শিক্ষায় সমালোচনামূলক চিন্তা অন্তর্ভুক্ত করা হয়, তখন এটি শিক্ষার্থীদের যুক্তি প্রদানের ক্ষমতাকে প্রভাবিত করে <ref>Bensley, A., Crowe, D., Bernhardt, P., Buckner, C., & Allman, A. (2010). Teaching and assessing CT skills for argument analysis in psychology. Teaching of Psychology, 37(2), 91-96. doi:10.1080/00986281003626656</ref>। যেসব কার্যক্রমে সমালোচনামূলক চিন্তা এবং সৃজনশীল চিন্তা উভয়ের প্রয়োজন, সেগুলোকে যুক্তিকেন্দ্রিক হওয়া উচিত <ref>Glassner, A., & Schwarz, B. B. (2007). What stands and develops between creative and critical thinking? argumentation?. Thinking Skills and Creativity, 2(1), 10-18. doi:10.1016/j.tsc.2006.10.001</ref> এবং যুক্তি বিশ্লেষণ ও গল্প বলার মাধ্যমে সমালোচনামূলক চিন্তা উন্নত করা যায় <ref>Gold J., Holman D., & Thorpe R. (2002). The role of argument analysis and story telling in facilitating critical thinking. Management Learning, 33(3), 371-388. doi:10.1177/1350507602333005</ref>। অর্থাৎ, বলা যায় যে সমালোচনামূলক চিন্তা ও যুক্তি উভয়ই একে অপরের বিকাশকে প্রভাবিত করে এবং শিক্ষার ও জ্ঞানের অন্যান্য ক্ষেত্রেও এদের প্রভাব রয়েছে।
== সমালোচনামূলক চিন্তা কীভাবে যুক্তিকে উন্নত করে ==
সমালোচনামূলক চিন্তা এমন তথ্যের মূল্যায়নে সহায়তা করে যা একটি যুক্তি তৈরির জন্য প্রয়োজন। এটি প্রতিটি অবস্থানের বৈধতা যাচাইয়ে সাহায্য করে। এটি উৎসের বিশ্বাসযোগ্যতা মূল্যায়নে ব্যবহৃত হয় এবং বিষয়টি একাধিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বিশ্লেষণে সহায়তা করে।
সমালোচনামূলক চিন্তা এবং যুক্তির উপাদানগুলোর মধ্যে অনেক সাধারণ বৈশিষ্ট্য রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, একটি বিবৃতির পক্ষে ও বিপক্ষে প্রমাণ পর্যালোচনা করা এবং যেসব তথ্য সেই দাবিগুলোর ভিত্তি গঠন করে, সেগুলো পরীক্ষা করা — এ দুটি ক্ষেত্রই একটি সঠিক যুক্তি তৈরি এবং সমালোচনামূলক চিন্তার অংশ।
এই অংশে উল্লেখিত চারটি সমালোচনামূলক চিন্তা উপাদানের আলোকে সমালোচনামূলক চিন্তা কিভাবে যুক্তি প্রদানের ক্ষমতাকে প্রভাবিত করে, তা বিশ্লেষণ করা হবে। প্রথমত, ব্রুনিং প্রমুখ (২০১১) অনুসারে, জ্ঞানের উপাদান সমস্যার সমাধান প্রক্রিয়াকে সক্রিয়ভাবে প্রভাবিত করে <ref name="bruningrh">Bruning, R. H., Schraw, G. J., & Norby, M. M. (2011). Cognitive psychology and instruction (5th ed.) Pearson.</ref>। সুতরাং, শিক্ষার্থীদের যা নিয়ে তারা যুক্তি দিচ্ছে, সেই বিষয়ে যথাযথ জ্ঞানের ভিত্তি থাকা আবশ্যক। ভালোভাবে প্রতিষ্ঠিত তথ্য ব্যবহার করে নতুন তথ্যের বিশ্বাসযোগ্যতা বিশ্লেষণ করতে পারার ক্ষমতা সেই শিক্ষার্থীদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যারা তাদের যুক্তি প্রদানের দক্ষতা বাড়াতে চায়। দ্বিতীয় উপাদান হলো '''অনুমান'''। চেসেভার এবং সিমারি (২০০৭) তাদের যুক্তি নির্মাণ নিয়ে আলোচনায় যেমনটি উল্লেখ করেছেন, তথ্য থেকে নতুন সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর ক্ষেত্রে '''যুক্তিপূর্ণ অনুমান''' একটি অপরিহার্য উপাদান<ref>Chesñevar, I., & Simari, G. (2007). Modelling inference in argumentation through labelled deduction: Formalization and logical properties. Logica Universalis, 2007, Volume 1, Number 1, Page 93, 1(1), 93-124. doi:10.1007/s11787-006-0005-4</ref>
[[চিত্র:Reasoning.jpg|থাম্ব|উপসংহার ও অনুমান—উভয়ই সমালোচনামূলক চিন্তন এবং যুক্তিবিদ্যায় গুরুত্বপূর্ণ।]]
অর্থাৎ, পূর্বে প্রাপ্ত তথ্য থেকে সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর ক্ষমতা একটি যুক্তির উন্নয়ন এবং তা বিস্তারিতভাবে উপস্থাপনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। একইভাবে, '''অনুমানভিত্তিক চিন্তন'''। এটি সমালোচনামূলক চিন্তনের একটি অংশ, যুক্তির গঠনে গুরুত্বপূর্ণ। বার্নিং ও তার সহকর্মীদের মতে, বিদ্যমান তথ্য থেকে একটি সাধারণ সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতাসমালোচনামূলক চিন্তনপ্রক্রিয়ার একটি অপরিহার্য অংশ<ref name="bruningrh2" />। ওন্টান এবং প্লাজা (২০১৫) যুক্তি দেন,, অনুমান যোগাযোগের মাধ্যমে যুক্তি গঠনে ব্যবহৃত হতে পারে। তদুপরি, একটি দলের প্রতিটি সদস্যের দেওয়া তথ্য একত্র করে সাধারণ সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর প্রক্রিয়া দেখায়, অনুমান কীভাবে যুক্তিতে পারস্পরিক সহযোগিতাকে ফলপ্রসূ করতে পারে<ref>Ontañón, S., & Plaza, E. (2015). Coordinated inductive learning using argumentation-based communication. Autonomous Agents and Multi-Agent Systems, 29(2), 266-304. doi:10.1007/s10458-014-9256-2</ref>। তাই এটি স্পষ্ট যেসমালোচনামূলক চিন্তনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে অনুমান যুক্তি এবং সহযোগিতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।সমালোচনামূলক চিন্তনের শেষ উপাদান। এটি সম্ভবত যুক্তির সাথে সবচেয়ে বেশি সম্পর্কযুক্ত, সেটি হলো '''মূল্যায়ন'''। বার্নিং ও তার সহকর্মীরা মূল্যায়নের উপাদান হিসেবে বিশ্লেষণ, বিচার এবং পরিমাপের কথা বলেন। এই তিনটি উপাদান একটি সফল যুক্তি গঠনের জন্য অপরিহার্য <ref name="bruningrh2" />। হর্নিক্স এবং হ্যান (২০১২) যুক্তি গঠনের তিনটি মূল উপাদানের একটি কাঠামো প্রদান করেন। এটি বার্নিং ও তার সহকর্মীদের উল্লেখিতসমালোচনামূলক চিন্তনের উপাদানের সঙ্গে গভীরভাবে সম্পর্কযুক্ত<ref name="horn2" />।
=== উৎপাদন, বিশ্লেষণ ও মূল্যায়ন ===
হর্নিক্স এবং হ্যান তাদের গবেষণায় যুক্তি গঠনের যে তিনটি দিকের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন, তা হলো '''উৎপাদন''', '''বিশ্লেষণ''' এবং '''মূল্যায়ন'''<ref name="horn2" />। যুক্তি উৎপাদনেসমালোচনামূলক চিন্তনের মূল উপাদানগুলো ব্যবহৃত হয়; এর মধ্যে থাকে মূল্যায়ন, বিশ্লেষণ, বিচার এবং একজন যে যুক্তির ওপর দৃঢ় অবস্থান নিতে চান, সেটির যথার্থতা নির্ণয়। যুক্তির বিশ্লেষণ এবংসমালোচনামূলক চিন্তনবিশ্লেষণ একসাথে চলে। কারণ একটি সফল এবং যথার্থভাবে সমর্থিত যুক্তি গঠনে তথ্য ও মতামতের সমালোচনামূলক বিশ্লেষণ আবশ্যক। একইভাবে, মূল্যায়নও যুক্তি বিশ্লেষণে ব্যবহৃত হয় কারণ এটিসমালোচনামূলক চিন্তনথেকে উদ্ভূত। তথ্যের উৎস এবং নির্ভরযোগ্যতা যাচাই একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটিতে কেউ তথ্যপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। সমালোচনামূলক চিন্তনের মূল্যায়নের চূড়ান্ত দিক হলো মেটাকগনিশন, অর্থাৎ নিজের চিন্তা নিয়ে চিন্তা করা বা নিজস্ব চিন্তাকে মনিটর করা <ref name="bruningrh2" />। নিজের চিন্তা পর্যবেক্ষণ এবং নেওয়া সিদ্ধান্তগুলোর যৌক্তিকতা বুঝে নেওয়া যুক্তি গঠনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। পিন্টু ও তার সহকর্মীদের গবেষণা অনুসারে, যুক্তি দেওয়ার ক্ষমতা এবং মেটাকগনিশনের মধ্যে একটি শক্তিশালী সম্পর্ক রয়েছে<ref>Pinto, M., Iliceto, P., & Melagno, S. (2012). Argumentative abilities in metacognition and in metalinguistics: A study on university students. European Journal of Psychology of Education, 27(1), 35-58. doi:10.1007/s10212-011-0064-7</ref>। অন্যভাবে বললে, একজন ব্যক্তি নিজের চিন্তা ও তার যথার্থতা নিয়ে যত বেশি ভাবতে পারেন, ততই তারা সুসংগঠিত যুক্তি প্রদান করতে সক্ষম হন। চিন্তাকে ভাষায় বা যুক্তিতে রূপান্তরের মাধ্যমে দেখা যায় যে,সমালোচনামূলক চিন্তনযুক্তি গঠনে ব্যাপক প্রভাব রাখে, যদিও কিছু গবেষণা এই সম্পর্কের পারস্পরিকতা নিয়ে বিভিন্ন দিকও তুলে ধরে।
প্রদত্ত গবেষণাগুলোর মাধ্যমে এটি স্পষ্ট হয় যে, জ্ঞ্যান, অনুমান, মূল্যায়ন এবং মেটাকগনিশনের মতো সমালোচনামূলক চিন্তন দক্ষতাগুলো যুক্তি গঠনের ওপর বড় প্রভাব ফেলে। তবে এর পাশাপাশি এটিও উঠে আসে যে, পাঠ্যক্রমেসমালোচনামূলক চিন্তনশেখানোর মাধ্যমে যুক্তি বিশ্লেষণ দক্ষতা বাড়ানো যায়। বেনসলি ও তার সহকর্মীদের (২০১০) একটি গবেষণা ইঙ্গিত দেয় যে, যখন কোনো কোর্সে সরাসরিসমালোচনামূলক চিন্তনশেখানো হয় এবং অন্য দলগুলোকে তা শেখানো না হয়, তখনসমালোচনামূলক চিন্তনশেখা দল যুক্তি বিশ্লেষণের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য উন্নতি করে<ref>Bensley, A., Crowe, D., Bernhardt, P., Buckner, C., & Allman, A. (2010). Teaching and assessing critical thinking skills for argument analysis in psychology. Teaching of Psychology, 37(2), 91-96. doi:10.1080/00986281003626656</ref>। যুক্তি গঠনে সমালোচনামূলক চিন্তন দক্ষতার ভূমিকা নিয়ে অনেক যুক্তি উপস্থাপন করা যায়, তবে এই গবেষণাটি দেখায়, সাধারণভাবেসমালোচনামূলক চিন্তনশেখানোর মাধ্যমেও শিক্ষার্থীদের যুক্তি বিশ্লেষণ ক্ষমতা বাড়ানো সম্ভব। যদি শিক্ষকরা শ্রেণিকক্ষে যুক্তি এবংসমালোচনামূলক চিন্তনউভয়ের বিকাশ চান, তাহলে এই বিষয়টি পরবর্তী অধ্যায়ের অংশে বিবেচনায় নেওয়া উচিত।
== কীভাবে যুক্তি গঠন সমালোচনামূলক চিন্তন উন্নত করে ==
যুক্তি গঠনসমালোচনামূলক চিন্তনপ্রক্রিয়ার একটি অংশ, এটি চিন্তার স্বচ্ছতা আনে এবং উপযুক্ত তথ্য বিশ্লেষণের ক্ষমতা বাড়ায়। এটি মেটাকগনিশনের অংশ। কারণ একজনকে নিজের ধারণাগুলোর মূল্যায়ন করতে হয়। সমালোচনামূলক চিন্তন দক্ষতা যেমন অনুমান ও/অথবা যুক্তিপূর্ণ সিদ্ধান্ত ব্যবহৃত হয় একটি সংগঠিত ও স্পষ্ট যুক্তি তৈরি করতে।
[[চিত্র:Toulmin_Argumentation_Example.gif|থাম্ব|Toulmin যুক্তি উদাহরণ—যুক্তি গঠনসমালোচনামূলক চিন্তনপ্রক্রিয়ার একটি অংশ, এটি চিন্তার স্বচ্ছতা আনে এবং উপযুক্ত তথ্য বিশ্লেষণের ক্ষমতা বাড়ায়। সমালোচনামূলক চিন্তন দক্ষতা যেমন অনুমান ও/অথবা যুক্তি ব্যবহৃত হয় একটি সংগঠিত ও স্পষ্ট যুক্তি তৈরি করতে।]]
গ্লাসনার এবং শোয়ার্জ (২০০৭) এর গবেষণায় দেখা যায়, যুক্তি গঠন সমালোচনামূলক এবং সৃজনশীল চিন্তার সংযোগস্থলে অবস্থান করে। তারা যুক্তি দেন,, কিশোরদের ক্ষেত্রে যুক্তি গঠনের মাধ্যমে চিন্তন হয়। এটি একাধারে সমালোচনামূলক এবং সৃজনশীল। তারা বলেন, চিন্তাভাবনা সবসময়ই অন্যান্য দৃষ্টিভঙ্গি ও তথ্য দ্বারা প্রভাবিত হয়। নতুন তথ্য নিয়ে সৃজনশীল এবং সমালোচনামূলকভাবে চিন্তা করার ক্ষমতা যুক্তি গঠনের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত হয়<ref>Glassner, A., & Schwarz, B. B. (2007). What stands and develops between creative and critical thinking? argumentation?. Thinking Skills and Creativity, 2(1), 10-18. doi:10.1016/j.tsc.2006.10.001</ref>। নতুন তথ্য গ্রহণ, মূল্যায়ন ও তা নিয়ে উদার মনোভাব প্রকাশ—এই পারস্পরিক প্রক্রিয়াকে সমালোচনামূলক ও সৃজনশীল চিন্তার সম্মিলিত কার্যক্রম হিসেবে দেখা যায়। তবে একজন ব্যক্তি যখন নতুন তথ্যের ভিত্তিতে সিদ্ধান্তে পৌঁছায়, তখন সেই সিদ্ধান্তের যৌক্তিকতা নির্ণয় করাই মূল বিষয়। যুক্তি গঠন সমালোচনামূলক চিন্তন দক্ষতাকে বিকাশে সহায়তা করে, এটি স্পষ্ট।
যদিও এটি সত্য যেসমালোচনামূলক চিন্তনযুক্তি গঠনে সরাসরি প্রভাব ফেলে, এই সম্পর্ককে দ্বিমুখী হিসেবেও দেখা যায়। এখানে যুক্তি শেখানো সমালোচনামূলক চিন্তন দক্ষতা তৈরি করে। গোল্ড ও তার সহকর্মীদের একটি গবেষণায় দেখা যায়, যুক্তি বিশ্লেষণ ও গল্প বলার মাধ্যমে সমালোচনামূলক চিন্তন দক্ষতা গড়ে তোলা যায়<ref>Gold J., Holman D., & Thorpe R. (2002). The role of argument analysis and story telling in facilitating critical thinking. Management Learning, 33(3), 371-388. doi:10.1177/1350507602333005</ref>। এই গবেষণাটি প্রমাণ করে, যুক্তি বিশ্লেষণ এবং গল্প বলার প্রক্রিয়া কেবল শিক্ষার্থীদের জন্য নয়, বরং প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রেও উপকারী। এই গবেষণায় অংশগ্রহণকারী ছিলেন অভিজ্ঞ ম্যানেজারগণ। গবেষণায়সমালোচনামূলক চিন্তনের চারটি দক্ষতা চিহ্নিত করা হয়েছে যেগুলো যুক্তি বিশ্লেষণ ও গল্প বলার মাধ্যমে উন্নত হতে পারে: বাগ্মিতার সমালোচনা, ঐতিহ্য, কর্তৃত্ব এবং জ্ঞান। এই চারটি দক্ষতা সাধারণত উচ্চবিদ্যালয়ে শেখানো সমালোচনামূলক চিন্তন দক্ষতার চেয়ে গভীরতর, এবং এগুলোর বিকাশ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যুক্তি গঠনসমালোচনামূলক চিন্তনকে এমনভাবে প্রভাবিত করতে পারে। এটি ব্যক্তিকে নিজের মূল্যবোধ ও বিশ্বাস নিয়ে আরও গভীরভাবে চিন্তা করতে সক্ষম করে এবং নতুন তথ্য পেলে তা পুনর্মূল্যায়ন করার সুযোগ দেয়।
উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য যুক্তি গঠনসমালোচনামূলক চিন্তনএবং সৃজনশীল চিন্তার উভয় ক্ষেত্রেই উপকারী। ডেমির এবং ইসলেইন (২০১৫) এর গবেষণায় দেখা যায়, নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে বিজ্ঞান শিক্ষায় যুক্তিভিত্তিক পদ্ধতি প্রয়োগ করলে উভয় ধরনের চিন্তার দক্ষতা বৃদ্ধি পায়<ref>Demir, B., & İsleyen, T. (2015). The effects of argumentation based science learning approach on creative thinking skills of students. Educational Research Quarterly, 39(1), 49-82.</ref>। শিক্ষার্থীরা যখন যুক্তি গঠনের মাধ্যমেসমালোচনামূলক চিন্তনএবং সৃজনশীল চিন্তার বিকাশ ঘটাতে পারে, তখন এটি অত্যন্ত ইতিবাচক ফল দেয়। যেহেতু আগেই বলা হয়েছে যে, সৃজনশীল এবং সমালোচনামূলক চিন্তন দক্ষতা যুক্তির মাধ্যমে চিন্তা করে উপসংহারে পৌঁছায়, তাই শ্রেণিকক্ষে যুক্তি-নির্ভর পাঠদান উভয় ধরনের দক্ষতাই বৃদ্ধি করে। সারসংক্ষেপে বলা যায়, যুক্তি গঠন এবংসমালোচনামূলক চিন্তনএর মধ্যে একটি দৃঢ় সম্পর্ক রয়েছে, এবংসমালোচনামূলক চিন্তনউপশ্রেণির অনেক দক্ষতার সাথেই এদের সম্পর্ক আছে। এই দুটি ধারণার সুনির্দিষ্ট পাঠদান একে অপরের বিকাশে সহায়ক এবং পরিপূরক বলেই প্রতীয়মান। এই অধ্যায়ের পরবর্তী অংশে এই বিষয়গুলো পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্তির উপযোগিতা এবং কীভাবে তারা যৌক্তিক চিন্তন ও জীবনের জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা বৃদ্ধিতে সহায়ক—তা আলোচনা করা হবে।
= যুক্তি ও সমালোচনামূলক চিন্তার পাঠদান =
[[চিত্র:HUJI_Election_Debate_(8361985738).jpg|থাম্ব|বিতর্ক হচ্ছে যুক্তি ওসমালোচনামূলক চিন্তনের একটি ব্যবহারিক প্রয়োগ]]
== শিক্ষণ কৌশল ==
সমালোচনামূলক চিন্তনশেখানোর কার্যকর পদ্ধতি হলো চিন্তার দক্ষতাগুলোকে একটি পরিস্কার এবং ধারাবাহিক ধাপে বিন্যস্ত করা। এই ধাপগুলো শিক্ষার্থীদের তাদের নিজস্ব চিন্তন পদ্ধতি সম্পর্কে সচেতন করে এবং বাস্তব জীবনে তা প্রয়োগের উপযোগিতা শেখায়। যুক্তিপূর্ণ পদ্ধতিতে। এখানে শিক্ষার্থীরা বিস্তৃত ধারণা থেকে শুরু করে নির্দিষ্ট কাজের দিকে অগ্রসর হয়,সমালোচনামূলক চিন্তনের মাধ্যমে পূর্বে জানা কিছু থেকে নতুন কিছু তৈরি করতে পারে।সমালোচনামূলক চিন্তনের চেতনায়, শিক্ষার্থীর নিজের দক্ষতা সম্পর্কে সচেতনতা তাদের শিক্ষায় একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের শুধু ফলাফলের ওপর মনোযোগ না দিয়ে, বরং লক্ষ্য অর্জনের পেছনের চিন্তন প্রক্রিয়া সম্পর্কে ভাবতে উৎসাহিত করা উচিত। এই ধরণের আত্মমূল্যায়নের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা যুক্তির মতো কাজের জন্য প্রয়োজনীয় চিন্তার দক্ষতা সম্পর্কে আরও সচেতন হয়ে উঠতে পারে।
সমালোচনামূলক চিন্তন এবং যুক্তি প্রদানের শিক্ষা দেওয়ার অর্থ হলো প্রথমেই সমালোচনামূলক চিন্তন দক্ষতা ব্যবহারের প্রতি মনোযোগ দেওয়া। সমালোচনামূলক চিন্তা শেখানোর জন্য একটি পরিকল্পনা তৈরির সময়, একজনকে বিভিন্ন পদ্ধতি মূল্যায়ন ও বিশ্লেষণ করে তথ্যভিত্তিক সিদ্ধান্ত নিতে হয় যে কোনটি তার শ্রেণির জন্য সবচেয়ে উপযোগী হবে। সমালোচনামূলক চিন্তা শেখানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের পন্থা রয়েছে। ''বর্ণনামূলক মডেলগুলো'' বোঝায় কীভাবে "ভালো" চিন্তাভাবনা কাজ করে। এটি বিশেষভাবে মনোযোগ দেয় এমন চিন্তন কৌশলের উপর, যেমন হিউরিস্টিক্স যা তথ্য মূল্যায়ন ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে সাহায্য করে। অন্যদিকে, ''নির্দেশনামূলক মডেলগুলো'' বোঝায় কী হওয়া উচিত একটি ভালো চিন্তার ধরণ। এক অর্থে, এই মডেলগুলো একটি প্রোটোটাইপ বা “নির্দেশনা” দেয় ভালো চিন্তা কী হওয়া উচিত। এই পদ্ধতিটি তুলনামূলকভাবে কম প্রয়োগযোগ্য এবং উচ্চতর স্তরের চিন্তাভাবনার জন্য একটি উচ্চ মানদণ্ড স্থাপন করে। যেকোনো পদ্ধতি নির্বাচন করার আগে, একজন শিক্ষককে অবশ্যই নির্ধারণ করতে হবে তিনি শিক্ষার্থীদের কোন নির্দিষ্ট ধরণের সমালোচনামূলক চিন্তন দক্ষতা শেখাতে চান। এই প্রক্রিয়ায় শিক্ষার্থীদের বয়স, কর্মদক্ষতা এবং জ্ঞানীয় ক্ষমতা বিবেচনা করে এমন একটি কর্মসূচি তৈরি করতে হয় যা বেশিরভাগ, যদি না হয় সব, শিক্ষার্থীদের উপকারে আসে। একজন শিক্ষকের জন্য শেষ যে বিষয়ে বিবেচনা করা উচিত, তা হলো '''সরাসরি''' নাকি '''পরোক্ষ পদ্ধতিতে''' সমালোচনামূলক চিন্তন শেখানো হবে। ''সরাসরি নির্দেশনা'' বোঝায় সমালোচনামূলক চিন্তন দক্ষতার স্পষ্ট শিক্ষা যা নিয়ম এবং ধাপগুলো জোর দিয়ে শেখায়। এটি সবচেয়ে কার্যকরী হয় যখন সমস্যার সমাধান সীমিত বা সহজ হয়। এর বিপরীতে, ''পরোক্ষ নির্দেশনা'' হলো শিক্ষার্থী-কেন্দ্রিক শিক্ষা পদ্ধতি যা শিক্ষার্থীর নিজস্ব চিন্তাধারা গঠনের উপর জোর দেয়। এটি সবচেয়ে কার্যকর যখন সমস্যা অনির্ধারিত, অস্পষ্ট বা ব্যাখ্যার ওপর নির্ভরশীল হয়, যেমন নৈতিক বা নীতিশাস্ত্রভিত্তিক সিদ্ধান্ত <ref name="bruningrh3" />।
পরোক্ষ সমালোচনামূলক চিন্তন শেখানোর একটি উদাহরণ হলো সাহিত্য পর্যালোচনা লেখার প্রক্রিয়া। চ্যান্ডলার ও ডেডম্যান-এর মতে, সাহিত্য পর্যালোচনার জন্য তথ্য সংগ্রহ, বিশ্লেষণ এবং ফলাফল সংক্ষেপে উপস্থাপন করার দক্ষতা অর্জন সমালোচনামূলক চিন্তা চর্চারই একটি অংশ। একটি শিক্ষণ নোটে, তারা একটি বিএসডব্লিউ (ব্যাচেলর অব সোশ্যাল ওয়ার্ক) প্রোগ্রাম বিশ্লেষণ করেন যা স্নাতক শিক্ষার্থীদের মধ্যে সমালোচনামূলক চিন্তাকে উন্নত করতে চেয়েছিল। তারা নির্দিষ্টভাবে বলেন, সাহিত্য পর্যালোচনা তৈরির মতো ব্যবহারিক লেখার অ্যাসাইনমেন্ট শিক্ষার্থীদের পুনর্বিবেচনা এবং প্রতিফলনের সাথে যুক্ত করতে সাহায্য করে এবং তাদের চিন্তার পরিধি বাড়িয়ে বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি বিশ্লেষণের সুযোগ দেয়। তারা দেখতে পান, যখন এই অ্যাসাইনমেন্টকে একটি সমালোচনামূলক পর্যালোচক হিসেবে শিক্ষার্থীদের বিকাশের একটি হাতিয়ার হিসেবে উপস্থাপন করা হয়, তখন শিক্ষার্থীরা এটিকে শুধুমাত্র কোর্স উপাদানের সারাংশ হিসেবে নয় বরং সমালোচনামূলক পাঠ ও লেখন দক্ষতা উন্নয়নের সুযোগ হিসেবেও দেখেছে। আলোচনার সময় প্রশ্নের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের তাদের প্রবন্ধের উৎসের কর্তৃত্ব ও বিশ্বাসযোগ্যতা বিশ্লেষণে সাহায্য করা হয়। শিক্ষার্থীরা তাদের বিষয়ে আরও প্রমাণ সংগ্রহে সচেষ্ট হয়। বিএসডব্লিউ প্রোগ্রামের শেষে শিক্ষার্থীরা সফলভাবে সুচিন্তিত সাহিত্য পর্যালোচনা তৈরি করে <ref>Chandler, S. & Dedman, D.E. (2012). Writing a Literature Review: An Essential Component of Critical Thinking. The Journal of Baccalaureate Social Work, 17. 160-165.</ref>। এই প্রোগ্রামটি সমালোচনামূলক চিন্তন দক্ষতার নিঃশব্দ শিক্ষা প্রদান করে। এখানে শিক্ষকের সাথে সংলাপ এবং সহপাঠী অংশগ্রহণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এখানে নির্দিষ্ট দক্ষতা বা ধাপ স্পষ্টভাবে বলা হয় না, বরং শিক্ষার্থীদের একটি অ্যাসাইনমেন্টের মাধ্যমে সমালোচনামূলক চিন্তা অনুশীলনে নিয়ে যাওয়া হয়। যখন শিক্ষার্থীরা অ্যাসাইনমেন্টে কাজ করে, তখন তাদের যুক্তি, বিশ্লেষণ এবং অনুমানমূলক দক্ষতা ব্যবহার করতে হয় যাতে তারা তাদের বিষয় সংক্রান্ত প্রমাণগুলোকে সংহত করে সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারে। অ্যাসাইনমেন্ট ভিত্তিক সমালোচনামূলক চিন্তা দক্ষতার ব্যবহার শিক্ষার্থীদের মধ্যে পরোক্ষ নির্দেশনার মাধ্যমে এই দক্ষতা গড়ে তোলে।
[[চিত্র:False_dichotomy_public_transport.png|থাম্ব|যুক্তির মানচিত্র একটি যুক্তি উপস্থাপনের দৃশ্যায়ন]]
যুক্তির মানচিত্র হলো যুক্তি উপস্থাপনের একটি ভিজ্যুয়াল উপায়। নিচে যুক্তির মানচিত্র তৈরির সফটওয়্যারগুলোর লিংক দেওয়া হলো:
https://www.rationaleonline.com/
http://www.argunet.org/editor/
http://debategraph.org/planet
https://www.truthmapping.com/map/1021/#s7164
== সমালোচনামূলক চিন্তনের জন্য দক্ষতা ভিত্তিক প্রোগ্রাম ==
এই প্রোগ্রামগুলো বিকল্প শিক্ষণ পদ্ধতির মাধ্যমে সমালোচনামূলক চিন্তন দক্ষতা গঠনে সহায়তা করে, যেমন সমস্যা সমাধান। সাধারণত এগুলো বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের জন্য তৈরি করা হয়, যেমন শেখার অক্ষমতা বা জ্ঞানীয় ঘাটতিসম্পন্ন শিক্ষার্থীরা।
=== CoRT চিন্তন সামগ্রী ===
CoRT (কগনিটিভ রিসার্চ ট্রাস্ট) প্রোগ্রামটি ডি বোনো-র ধারণার ওপর ভিত্তি করে তৈরি। এখানে বলা হয়েছে চিন্তন দক্ষতাকে স্কুলে একটি বিষয় হিসেবে শেখানো উচিত <ref name="alf">Al-Faoury, O.H., & Khwaileh, F. (2014). The Effect of Teaching CoRT Program No. (4) Entitles “Creativity” on the Gifted Learners’ Writing in Ein El-Basha Center for Gifted Students. Theory and Practice in Language Studies, 4(11), 2249-2257. doi:10.4304/tpls.4.11.2249-2257.</ref>। চিন্তন সামগ্রী মূলত চিন্তন দক্ষতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে তৈরি। এই দক্ষতা ভিত্তিক প্রোগ্রাম গেস্টাল্ট পদ্ধতির অনুসরণ করে এবং সমস্যা সমাধানে পারসেপচুয়াল ফ্যাক্টরের উপর গুরুত্ব দেয়। এটি সাধারণত দুই বছরের একটি কোর্স যা বিভিন্ন বয়সের শিশুদের উপযোগী। পাঠগুলো সৃজনশীল চিন্তা, সমস্যা সমাধান ও আন্তঃব্যক্তিক দক্ষতা বিকাশে সহায়তা করে। সামগ্রীগুলো ছয়টি ইউনিটে বিভক্ত এবং পরিকল্পনা, বিশ্লেষণ, তুলনা, নির্বাচন, মূল্যায়ন ও বিকল্প ধারণা তৈরির মতো বিষয় অন্তর্ভুক্ত করে। একটি সাধারণ ইউনিটে লিফলেট থাকে যা একটি নির্দিষ্ট বিষয় কাভার করে, এরপর অনুশীলনের জন্য উদাহরণ দেওয়া হয়। এই লিফলেটগুলো সাধারণত দলীয় কার্যক্রমে বেশি কার্যকর। ইউনিটগুলোর মূল লক্ষ্য হলো চিন্তন দক্ষতা অনুশীলন করানো, তাই পাঠের অধিকাংশ সময় এই বিষয়গুলোর চর্চার জন্য বরাদ্দ থাকে <ref name="bruningrh3" />।
এই স্বতন্ত্র প্রোগ্রামের উপর করা অধিকাংশ গবেষণা সৃজনশীল চিন্তা বিকাশের উপর কেন্দ্রীভূত, তবে এটি এই অধ্যায়ে উল্লিখিত অন্যান্য প্রোগ্রামগুলোর তুলনায় তুলনামূলকভাবে বেশি বিস্তৃত। CoRT প্রোগ্রামটি মেধাবী শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। আল-ফাউরি ও খোয়াইলেহ (২০১৪) CoRT প্রোগ্রামটি মেধাবী শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল লেখার উপর কী ধরনের প্রভাব ফেলে তা মূল্যায়ন করেন। শিক্ষার্থীদের একটি প্রাক-পরীক্ষা দেওয়া হয় যেখানে সৃজনশীল ছোটগল্প লেখার ক্ষেত্রে প্রবাহ, নমনীয়তা ও মৌলিকতা মূল্যায়ন করা হয় <ref name="alf" />। পরীক্ষামূলক গ্রুপের শিক্ষার্থীরা তিন মাসে মোট ২০টি CoRT পাঠ গ্রহণ করে। এর মধ্যে ১০টি ছিল CoRT 1 “Breadth” এবং ১০টি CoRT 4 “Crea tivity” থেকে, অপরদিকে নিয়ন্ত্রণ গ্রুপকে ঐতিহ্যবাহী সৃজনশীল লেখার পাঠ দেওয়া হয়। পরবর্তী পরীক্ষা একই মানদণ্ডে নেওয়া হয় এবং ফলাফল প্রাক-পরীক্ষা ও পরবর্তী পরীক্ষার স্কোরের তুলনা করে বিশ্লেষণ করা হয়। গবেষকেরা দেখতে পান, পরীক্ষামূলক গ্রুপের প্রবাহ, নমনীয়তা ও মৌলিকতা স্কোরে একটি পরিসংখ্যানগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ উন্নতি হয়েছে। এই তিনটি উপাদানেই পরীক্ষামূলক গ্রুপের গড় স্কোর নিয়ন্ত্রণ গ্রুপের তুলনায় বেশি ছিল <ref name="alf" />। এই ফলাফলগুলো নির্দেশ করে CoRT প্রোগ্রামটি রূপক, উপমা ইত্যাদির মতো অলংকারশাস্ত্রীয় কৌশল ব্যবহারের মাধ্যমে, সংলাপের মাধ্যমে চরিত্র বিকাশ এবং জটিল গঠন নিয়ন্ত্রণে শিক্ষার্থীদের সহায়তা করে <ref name="alf" />। লেখার নমনীয়তা ও প্রবাহ যুক্তি প্রদর্শন এবং সমালোচনামূলক চিন্তার চর্চার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। ধারণা উপস্থাপন ও পরিবর্তনের ক্ষমতা বিকাশের মাধ্যমে, শিক্ষার্থীরা এই দক্ষতাগুলো সৃজনশীল লেখালেখি থেকে উচ্চতর জ্ঞানীয় প্রক্রিয়ায়—যেমন সমালোচনামূলক চিন্তা ও যুক্তি প্রদান—পরিবর্তন করতে সক্ষম হয়।
=== ফয়ের্স্টাইন ইনস্ট্রুমেন্টাল এনরিচমেন্ট প্রোগ্রাম (এফআইই) ===
এফআইই একটি বিশেষায়িত প্রোগ্রাম যা মধ্যস্থতাভিত্তিক শিক্ষার অভিজ্ঞতার উপর ভিত্তি করে গড়ে তোলা হয়েছে এবং এর উদ্দেশ্য হলো সমালোচনামূলক চিন্তা ও সমস্যা সমাধান দক্ষতা গড়ে তোলা। মধ্যস্থতা হলো এমন এক শিক্ষণ পদ্ধতি যা শিক্ষার্থী ও মধ্যস্থতাকারীর মধ্যে পারস্পরিক সংলাপের মাধ্যমে ঘটে। ভাইগোৎস্কির “স্ক্যাফোল্ডিং”-এর মতো, এটি শিক্ষার্থী-কেন্দ্রিক এবং চারটি মূল উপাদানের উপর ভিত্তি করে: উদ্দেশ্যমূলকতা, পারস্পরিকতা, পরিপার্শ্বে প্রসারণ এবং অর্থবোধকতা <ref name="kozulin">Kozulin, A. & Presseisen, B.Z. (1995). Mediated Learning Experience and Psychological Tools: Vygotsky’s and Feuerstein’s Perspective in a Study of Student Learning. Educational Psychologist, 30(2), 67-75.</ref>। উদ্দেশ্যমূলকতা বোঝায় মধ্যস্থতা ও সাধারণ পারস্পরিক যোগাযোগের মধ্যে পার্থক্য। এখানে শিক্ষার্থী ও মধ্যস্থতাকারীর মধ্যে একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য থাকে। পারস্পরিকতা বোঝায় শিক্ষার্থী-কেন্দ্রিক মনোভাব। এখানে শিক্ষার্থীর প্রতিক্রিয়াই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, শিক্ষাবিষয়ক ফলাফল নয়। পরিপার্শ্বে প্রসারণ বোঝায় বর্তমান পাঠ ছাড়িয়ে নতুন সংযোগ তৈরি ও প্রয়োগের উৎসাহ প্রদান। অর্থবোধকতা বোঝায় শিক্ষার্থী ও মধ্যস্থতাকারী পরিষ্কারভাবে “কেন” ও “কিসের জন্য” প্রশ্নের উত্তর নির্ধারণ করে। এটি শিক্ষার সময় সংলাপ বাড়ায় <ref name="kozulin" /><ref>Presseisen, B.Z. & Kozulin, A. (1992). Mediated Learning – The Contributions of Vygotsky and Feuerstein in Theory and Practice.</ref>
এই প্রোগ্রামে ব্যবহৃত “ইনস্ট্রুমেন্টগুলো” হলো পেন্সিল-পেপার ভিত্তিক অনুশীলন যা শিক্ষার্থীদের উচ্চতর চিন্তন কৌশল অন্তর্নিহিতভাবে অনুশীলনে সহায়তা করে। এই ইনস্ট্রুমেন্টগুলো বিশ্লেষণাত্মক উপলব্ধি, স্থানগত সংগঠন, শ্রেণীবিন্যাস, তুলনা এবং অন্যান্য অনেক বিষয়ে কাজ করে। বিভিন্ন দেশে এই প্রোগ্রামের প্রয়োগ পদ্ধতি ভিন্ন এবং লক্ষ্যকৃত জনগোষ্ঠীর উপর নির্ভরশীল। একটি সাধারণ প্রোগ্রামে ১৪টি ইউনিট থাকে এবং প্রতি সপ্তাহে কয়েক ঘণ্টার জন্য ৩–৪টি সেশন পরিচালনা করা হয়। এটি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত IE কর্মী ও শিক্ষকরা পরিচালনা করে <ref name="kozulin" />।
=== ফলপ্রসূ চিন্তন কর্মসূচি ===
ফলপ্রসূ চিন্তন কর্মসূচির লক্ষ্য হলো পরিকল্পনা করার দক্ষতা, অনুমান তৈরি ও যাচাই এবং নতুন ধারণা উদ্ভাবন। এটি ১৫টি পাঠে বিভক্ত যা একটি সেমিস্টারে সম্পন্ন করার জন্য তৈরি। প্রোগ্রামের লক্ষ্য গোষ্ঠী হলো উচ্চস্তরের প্রাথমিক শ্রেণির শিক্ষার্থীরা। পাঠগুলো একটি গল্পনির্ভর বইয়ের মাধ্যমে পড়ানো হয়। এখানে শিক্ষার্থীরা একজন গোয়েন্দার ভূমিকায় কাজ করে এবং রহস্য সমাধান করে। একটি নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য শিক্ষার্থীদের একটি কাঠামোবদ্ধ ধাপ অনুসরণ করতে হয় <ref>Schuler, G. (1974). The Effectiveness of the Productive Thinking Program. Paper presented at the Annual Meeting of the American Educational Research Association. Retrieved from: http://www.eric.ed.gov/contentdelivery/servlet/ERICServlet?accno=ED103479.</ref>। পাঠ শেষে অতিরিক্ত সমস্যা দেওয়া হয় যাতে শিক্ষার্থীরা শিখিত দক্ষতা প্রয়োগ করে অনুশীলন করতে পারে <ref name="bruningrh3" />।
=== IDEAL সমস্যা সমাধান পদ্ধতি ===
IDEAL সমস্যা সমাধান পদ্ধতি ৫টি ধাপের একটি কাঠামো যা IDEAL নামের সংক্ষিপ্তরূপে উপস্থাপিত। প্রথমে, (I)dentify: সমস্যা শনাক্ত করা, অর্থাৎ সমস্যাটি কী তা বুঝতে হবে। দ্বিতীয় ধাপ, (D)efine: সমস্যা সংজ্ঞায়িত করা। এখানে পুরো সমস্যাটি পরিষ্কারভাবে বোঝা জরুরি। তৃতীয় ধাপ, (E)xplore: বিকল্পগুলো অন্বেষণ করা, অর্থাৎ সম্ভাব্য সমাধানগুলো বিশ্লেষণ করা। চতুর্থ ধাপ, (A)cting: একটি পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করা। শেষ ধাপ, (L)ooking: ফলাফল পর্যবেক্ষণ করা, অর্থাৎ গৃহীত সমাধানের প্রভাব বিশ্লেষণ করা। IDEAL একটি নমনীয় কাঠামো যা বিভিন্ন বয়স ও দক্ষতার শিক্ষার্থীদের জন্য উপযোগী এবং বিভিন্ন বিষয়ে যেমন রচনা বা পদার্থবিজ্ঞানে প্রয়োগ করা যায় <ref name="bruningrh3" />।
== যুক্তিবাদের নির্দেশনা ==
যুক্তিবাদ নিয়ে গবেষণা শিক্ষা ক্ষেত্রে তুলনামূলকভাবে নতুন একটি ক্ষেত্র হলেও, এটি প্রায় সব ধরনের শিক্ষাব্যবস্থার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং কলেজগুলো এখন শ্রেণিকক্ষে যুক্তিবাদের ব্যবহারে গুরুত্ব দিচ্ছে। কারণ এটি বিশ্বব্যাপী পেশাগত ও শিক্ষামূলক পরিবেশে যোগাযোগ ও বিতর্কের সবচেয়ে কার্যকর উপায় হিসেবে দেখা হচ্ছে।<ref name="cro">Crowell, A., & Kuhn, D. (2014). Developing dialogic argumentation skills: A 3-year intervention study. Journal of Cognition and Development, 15(2), 363-381. doi:10.1080/15248372.2012.725187</ref> ক্রোয়েল এবং কুহন কর্তৃক পরিচালিত একটি দীর্ঘমেয়াদী গবেষণায় দেখা গেছে, শিক্ষার্থীদের যুক্তিবাদী দক্ষতা অর্জনে সবচেয়ে কার্যকর উপায় হলো শ্রেণিকক্ষে ও বাড়ির কাজ হিসেবে ধারাবাহিক ও ঘনঘন যুক্তিবাদের প্রয়োগ।<ref name="cro" /> এই গবেষণার সময় শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন পদ্ধতির মাধ্যমে যুক্তিবাদী দক্ষতা অর্জন করেছে। বন্ধুদের সঙ্গে সহযোগিতা, কম্পিউটার ব্যবহার, আত্মপ্রত্যয়মূলক কার্যকলাপ, ব্যক্তিগত প্রবন্ধ এবং ছোট দলের কাজ—এই সব কৌশল যুক্তিবাদ শেখানোর ক্ষেত্রে মূল্যবান প্রমাণিত হয়েছে, যদিও কোনটি সবচেয়ে কার্যকর তা স্পষ্ট নয়।<ref name="cro" /> গবেষণার তথ্য থেকে দেখা যায়, শিক্ষার্থীরা যেখান থেকে শুরু করেছিল, তাদের আগের যুক্তিবাদী পরীক্ষার ফলাফল যাই হোক না কেন, সকলেই প্রায় সমান মাত্রার যুক্তিবাদী দক্ষতা অর্জন করেছে। এটি প্রমাণ করে, এমনকি যাদের প্রথম দিকে যুক্তিবাদী দক্ষতা নেই বলেই মনে হয়েছে, তারাও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সেই দক্ষতা অর্জন করতে পারে এবং হয়তো তাদের চেয়েও ভালো করতে পারে যারা শুরুতে বেশি নম্বর পেয়েছিল।<ref name="cro" />
=== সংলাপ ও যুক্তিবাদ ===
ক্রোয়েল এবং কুহন (২০১১) এর গবেষণায় দেখা যায়, যৌথ সংলাপভিত্তিক কার্যকলাপ যুক্তিবাদী দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য কার্যকর হস্তক্ষেপ হতে পারে। তারা একটি দীর্ঘমেয়াদী হস্তক্ষেপ চালু করেন। সেখানে একটি মধ্যবিদ্যালয়ের দর্শনের ক্লাসে বিষয়ভিত্তিক চক্র ব্যবহার করে যুক্তিবাদ শেখানো হয়<ref name="crowell">Crowell, A., & Kuhn, D. (2011). Dialogic Argumentation as a Vehicle for Developing Young Adolescents’ Thinking. Psychological Science, 22(4), 545-552. DOI: 10.1177/0956797611402512.</ref>। শিক্ষার্থীরা সপ্তাহে দুই দিন, প্রতি ক্লাসে ৫০ মিনিট করে তিন বছর ধরে ক্লাস করে। এই হস্তক্ষেপ ছিল তিন ধাপে: প্রথমে শিক্ষার্থীদের ছোট ছোট দলে ভাগ করে তাদের যুক্তির একদিকে রাখার মাধ্যমে ধারণা তৈরি করা হয় (“পক্ষে” এবং “বিপক্ষে” দল)। এরপর প্রতিপক্ষের সঙ্গে বৈদ্যুতিক মাধ্যমে যুক্তি তর্কে যুক্ত হয়। সবশেষে পুরো শ্রেণিকক্ষে একত্রে বিতর্কে অংশ নেয়। এই তিনটি ধাপ যথাক্রমে প্রিগেম, গেম এবং এন্ডগেম নামে পরিচিত। হস্তক্ষেপ শেষে শিক্ষার্থীদের একটি প্রবন্ধ লিখতে বলা হয় যার মাধ্যমে তাদের যুক্তিবাদী দক্ষতা মূল্যায়ন করা হয়<ref name="crowell" />। ফলাফল দেখায় যে হস্তক্ষেপপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের মধ্যে দ্বিমুখী দৃষ্টিভঙ্গি ভিত্তিক যুক্তি তৈরির হার বৃদ্ধি পেয়েছে। এই ধরনের যুক্তি প্রদানের জন্য একজনকে নিজের বিপরীত অবস্থান নিতে হয় এবং সেই অনুযায়ী যুক্তি সাজাতে হয়। এই ধরনের যুক্তি উচ্চতর মানসিক প্রক্রিয়া নির্দেশ করে যা বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গিকে বিশ্লেষণ করার সামর্থ্য চায়। এই পরিবর্তনগুলি দ্বিতীয় বছর পর্যন্ত দৃশ্যমান ছিল না এবং তৃতীয় বছরেই তা পরিসংখ্যানগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে প্রমাণিত হয়। এটি নির্দেশ করে যুক্তিবাদী দক্ষতা অন্যান্য নিম্নস্তরের মানসিক দক্ষতার তুলনায় বেশি সময় নিয়ে গড়ে ওঠে<ref name="crowell" />। এই স্বতন্ত্র হস্তক্ষেপ প্রমাণ করে সংলাপভিত্তিক কার্যকলাপের সহযোগিতামূলক দিকটি যুক্তিবাদের জন্য প্রয়োজনীয় মানসিক প্রবণতা গঠনে সহায়তা করে<ref name="crowell" />।
[[চিত্র:Dynamic_roles_during_dialogue.jpg|থাম্ব|যুক্তিবাদ বিকাশে সংলাপভিত্তিক কার্যকলাপ গুরুত্বপূর্ণ। পারিবারিক থেরাপিস্ট ডেভিড ক্যান্টর সংলাপের সময় অংশগ্রহণকারীরা যে চারটি ভিন্ন ভিন্ন ভূমিকা গ্রহণ করেন, তা চিত্রিত করেছেন।]]
আরও গবেষণায় দেখা যায়, সহযোগিতামূলক আলোচনা ও যুক্তিবাদী সংলাপের মাধ্যমে শিক্ষা প্রদান একটি কার্যকর কৌশল<ref name="macagno2" />। যুক্তিবাদের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ধারণা এবং এই ধারণাগুলোর পেছনের মৌলিক চিন্তাধারা অর্জন করতে পারে। যুক্তি তৈরি করতে গেলে শিক্ষার্থীদের গ্রহণযোগ্য সংজ্ঞা বা দাবির মাধ্যমে একটি যুক্তির কাঠামো গড়ে তুলতে হয়। যুক্তিবাদ শিক্ষার্থীদের ভুল ধারণা স্পষ্ট করতে সাহায্য করে এবং তাদের পূর্বজ্ঞান ব্যাখ্যা ও সম্প্রসারণের সুযোগ দেয়। যুক্তিবাদের দুটি প্রধান দিক—সংলাপ এবং কাঠামো—প্রায়শই যুক্তিবাদী দক্ষতার মূল্যায়নে ব্যবহৃত হয়<ref name="macagno2" />। বিশেষ করে শিক্ষার্থী ও বিশেষজ্ঞদের মধ্যকার সংলাপের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের নির্দিষ্ট যুক্তি ও পাল্টা যুক্তি দিতে উৎসাহিত করা যায়। এটি বিশেষজ্ঞের সংলাপগত সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করে<ref name="macagno2" />। এই সহায়ক কাঠামো শিক্ষার্থীকে গভীরভাবে বিশ্লেষণ করতে সহায়তা করে।
যখন শিক্ষার্থী-শিক্ষার্থী এবং শিক্ষার্থী-বিশেষজ্ঞ সংলাপের মধ্যে যুক্তিবাদী আচরণের কনটেন্ট ও কার্যকরী কোডিং বিশ্লেষণ করা হয়, তখন ম্যাকাগ্নো, মেওয়েগ-পাউস ও কুহন (২০১৪) দেখেছেন যে শিক্ষার্থী-বিশেষজ্ঞ সংলাপের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা পরবর্তীতে মূল বিষয়টির গভীরে থাকা বিমূর্ত ধারণা (যেমন নৈতিক নীতিমালা, মূল্যবোধের দ্বন্দ্ব) নিয়ে যুক্তি তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে। এটি শিক্ষার্থী-শিক্ষার্থী সংলাপে দেখা যায়নি<ref name="macagno2" />। বিশেষজ্ঞরা শিক্ষার্থীর যুক্তিকে আক্রমণ করার জন্য আরও নির্দিষ্ট ও জটিল কৌশল ব্যবহার করেন, যেমন সমস্যা সমাধানের বিকল্প উপায় প্রস্তাব করা। এটি পরবর্তী সময়ে শিক্ষার্থীর মেটা-সংলাপে পারফরম্যান্স উন্নত করেছে<ref name="macagno2" />। এই ফলাফল নির্দেশ করে সহযোগিতামূলক কার্যকলাপে যুক্তিবাদের ব্যবহার যুক্তিবাদী দক্ষতা বিকাশে সহায়ক। সমালোচনামূলক চিন্তনের মতো, শিক্ষাদানের পরিবর্তে, ইন্টারঅ্যাকটিভ পরিবেশে অনুশীলনের মাধ্যমে যুক্তিবাদ শেখা আরও কার্যকর হতে পারে।
=== বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদ ===
শ্রেণিকক্ষে যুক্তিবাদের প্রয়োগ নিয়ে অধিকাংশ সাহিত্য বৈজ্ঞানিক বিষয়কেই কেন্দ্র করে লেখা হয়েছে। যুক্তিবাদ বিজ্ঞান শিক্ষায় একটি টুল হিসেবে ব্যবহৃত হয় সমালোচনামূলক চিন্তন উন্নত করতে, ক্লাসে অংশগ্রহণ বাড়াতে এবং বিষয়ের চারপাশে পূর্বজ্ঞান ও বিশ্বাস সক্রিয় করতে<ref name="macagno2" />। বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব ও জ্ঞান ব্যাখ্যা এবং পরিশোধিত করার জন্য বিজ্ঞানীরাও যুক্তিবাদের ওপর নির্ভর করেন<ref name="jonassen2" />। জোনাসেন ও কিম (২০১০) বলেন, বিজ্ঞান শিক্ষকরা প্রায়ই যুক্তিবাদের গুরুত্ব অন্যান্য বিষয়ের চেয়ে বেশি দেন<ref>Jonassen, D.H., & Kim, B. (2010). Arguing to learn ad learning to argue: design justifications and guidelines. Education Technology & Research Development, 58(4), 439-457. DOI 10.1007/s11423-009-9143-8.</ref>। যুক্তিবাদ শিক্ষার্থীদের ভালোভাবে সংগঠিত সমস্যা ও অসংগঠিত সমস্যার সমাধান শিখতে সাহায্য করে। এটি দৈনন্দিন জীবনের সমস্যাগুলোকেও অন্তর্ভুক্ত করে। বিশেষভাবে, অসংগঠিত সমস্যা হচ্ছে এমন সমস্যা যেখানে লক্ষ্য ও সীমাবদ্ধতা স্পষ্ট নয় এবং একাধিক সমাধানের পথ ও মূল্যায়নের মানদণ্ড থাকে<ref name="jonassen2" />।
যুক্তিবাদের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা সমস্যা সমাধানের জন্য সঠিক যুক্তি ও সমালোচনামূলক চিন্তন প্রয়োগ করতে শেখে। উদাহরণস্বরূপ, একটি ভালোভাবে সংগঠিত সমস্যা হতে পারে পদার্থবিজ্ঞানের একটি প্রশ্ন যেখানে নির্দিষ্ট সূত্র ও নিয়ম অনুসরণ করে উত্তর বের করতে হয় অথবা পাঠ্যবইয়ের শেষে থাকা প্রশ্ন যা নির্দিষ্ট তত্ত্বের ওপর ভিত্তি করে সমাধান করতে হয়। অন্যদিকে, একটি অসংগঠিত সমস্যা হতে পারে একজন ব্যক্তির হৃদরোগের কারণ নির্ধারণ করা। এখানে বিভিন্ন জীবনধারা ও শারীরিক কারণ একত্রে কাজ করে এবং হৃদরোগের নানা রূপও বিবেচনা করতে হয়। এই ধরনের সমস্যা সমাধানের জন্য পুষ্টি, মানসিক স্বাস্থ্য ও জিনগত কারণের মতো অন্যান্য ক্ষেত্র থেকেও জ্ঞান প্রয়োগ করতে হয়। যেহেতু এই সমস্যাগুলোর একক কোনো উত্তর নেই, শিক্ষার্থীরা তাদের সমাধানের যুক্তি দিতে পারে<ref name="jonassen2" />। বিজ্ঞান শেখার সময় এমন সমস্যা সমাধানের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা সমালোচনামূলক চিন্তন ব্যবহার করে যুক্তিবাদী দক্ষতা গড়ে তোলে।
একজন ব্যক্তির যুক্তি প্রদানে আগ্রহ এবং দক্ষতা – এই দুইটিই বিজ্ঞানের শিক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে<ref name="bathgate">Bathgate, M., Crowell, A., Schunn, C., Cannady, M., & Dorph, R. (2015). The learning benefits of being willing and able to engage in scientific argumentation. International Journal of Science Education, 37(10), 1590-1612. doi:10.1080/09500693.2015.1045958</ref>। কারণ, বিজ্ঞান নিজেই এক ধরনের যুক্তিবাদী ক্ষেত্র।
[[চিত্র:The_Scientific_Method_as_an_Ongoing_Process.svg|থাম্ব|বিজ্ঞান মূলত যুক্তিবাদভিত্তিক একটি প্রক্রিয়া; বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির মধ্যেই এই যুক্তিক্রম দেখা যায়।]]
যদি শিক্ষার্থীরা অল্প বয়স থেকেই যুক্তিবাদে অংশ নিতে সক্ষম হয়, তবে তাদের বৈজ্ঞানিক বিষয়বস্তুর জ্ঞান অনেক বেশি বৃদ্ধি পেতে পারে। এর প্রধান কারণ হলো যুক্তিবাদী আলাপচারিতা। সেখানে অন্যের সঙ্গে দ্বিমত প্রকাশ করতে পারা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে কিশোর-কিশোরীদের ক্ষেত্রে যাদের সামাজিক আচরণ অত্যন্ত সক্রিয় থাকে (যেমন জুনিয়র থেকে সিনিয়র হাই স্কুল)। এই সামাজিক সক্ষমতা ব্যবহার করাই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এ সময় তারা একে অপরের সঙ্গে দ্বিমত প্রকাশ করতে আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠে। একজন শিক্ষার্থী যখন ক্লাসে অন্য কারও সঙ্গে যুক্তি দেয়, তখন সে তার চিন্তাভাবনা প্রকাশ করতে বাধ্য হয়। এই চিন্তাভাবনার ভাষায় রূপদান শিক্ষার্থীর শেখার জন্য খুবই কার্যকর<ref name="bathgate" />। এটি তাকে তার চিন্তাভাবনা বিশ্লেষণ ও সম্প্রসারণ করতে সাহায্য করে। কারণ তার ধারণাগুলো শ্রেণিতে উপস্থাপন করতে হয়। এছাড়া, এতে করে শিক্ষার্থী নিজের ভুল ধারণাও শনাক্ত করতে পারে। কারণ সহপাঠীরা তার যুক্তির বিরোধিতা করতে পারে<ref name="bathgate" />। এসব উপাদান সমালোচনামূলক চিন্তার অংশ এবং শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য অর্থাৎ ধারণাগত পরিবর্তনে অবদান রাখে। কিশোর-কিশোরীদের সামাজিক আচরণের এই প্রকৃতি বিজ্ঞানে তাদের শিক্ষায় যুক্তিবাদের প্রভাব বিস্তার করতে একটি সুযোগ সৃষ্টি করে<ref name="bathgate" />।
=== যুক্তিবাদ, সমস্যা সমাধান এবং ইতিহাস শিক্ষায় সমালোচনামূলক চিন্তন ===
ইতিহাস শিক্ষা শিক্ষার্থীদের জন্য সমস্যা সমাধান ও সমালোচনামূলক চিন্তনের বিকাশের এক সমৃদ্ধ সুযোগ প্রদান করে এবং মানব অভিজ্ঞতার প্রতি তাদের দৃষ্টিভঙ্গি প্রসারিত করে। ইতিহাস চর্চা একটি জ্ঞানগত ব্যবধান পূরণ করে; বিশেষ করে, এটি বর্তমান দিনের জ্ঞানের সঙ্গে "অসীম, অসংগঠিত এবং অজানা যা কিছু অতীতে ঘটেছে" – তার পার্থক্য দূর করে।<ref name="”S”">Seixas, P., Morton, T., Colyer, J., & Fornazzari, S. (2013). The Big Six: Historical thinking Concepts. Toronto: Nelson Education.</ref> বহুদিন ধরেই ইতিহাস শিক্ষায় সমালোচনামূলক চিন্তন এবং বিশ্লেষণী সমস্যা সমাধানের গুরুত্ব স্বীকৃত। ইতিহাসে দক্ষ হতে হলে শিক্ষার্থীদের বুঝতে ও নির্মাণ করতে হয় যে কিভাবে আমরা অতীত সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করি এবং কিভাবে অতীত ও ইতিহাস নামক জ্ঞানের ভাণ্ডারের মধ্যে সংযোগ তৈরি করি।<ref>Osborne, K. (2013). Forward. Seixas, P., Morton, T., Colyer, J., & Fornazzari, S. The Big Six: Historical thinking Concepts. Toronto: Nelson Education.</ref> দুর্ভাগ্যজনকভাবে, ইতিহাস শিক্ষাকে আজকাল শুধুমাত্র তথ্য মুখস্থ করার বিষয়ে সীমাবদ্ধ করে ফেলা হয়েছে – যেখানে অতিরিক্ত মুখস্থ এবং বহু বিকল্প প্রশ্নভিত্তিক পরীক্ষার উপর নির্ভর করা হচ্ছে। এটি বর্তমান বাস্তবতা থেকে সম্পূর্ণভাবে আলাদা। এই ধরনের পদ্ধতি শিক্ষার্থীদের ইতিহাস বিষয়ে আগ্রহ তৈরি করতে পারে না, এমনকি এটি অতীত ও বর্তমানের সংযোগ বুঝতেও সাহায্য করে না।
অন্যদিকে, বিজ্ঞান ও গণিতের অধ্যয়ন বহু বছর ধরে সমস্যা সমাধানের কার্যকলাপের মাধ্যমে দক্ষতা উন্নয়নের উপর কেন্দ্রীভূত হয়েছে। শিক্ষার্থীরা প্রাথমিক দক্ষতা অর্জন করে এবং ক্রমাগত জটিল সমস্যার একটি অগ্রগতি অনুসরণ করে এই দক্ষতাগুলোকে আরো গভীরভাবে রপ্ত করে। এটিতে তারা বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব এবং গাণিতিক সম্পর্ক সম্পর্কে আরও ভালোভাবে বুঝতে পারে। বিশেষ করে বিজ্ঞান শিক্ষায়, শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞানীদের মতো চিন্তা করতে এবং বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি ব্যবহার করে সমস্যার সমাধান করতে শেখানো হয়। যদি এই পদ্ধতি বিজ্ঞান ও গণিত শিক্ষার ক্ষেত্রে কার্যকর হয়, তবে ইতিহাস শিক্ষায় এটি ব্যবহার করা যাবে না কেন? <ref name="”S”2" />। অতএব, ঐতিহাসিক চিন্তা বিকাশের জন্য শিক্ষকদের পেশাদার ইতিহাসবিদদের দ্বারা ব্যবহৃত কৌশল ও সমস্যা সমাধানের পন্থাগুলো শেখানো প্রয়োজন। তবে, বিজ্ঞান ও গণিতের মতো নয়, ইতিহাসে আমরা যেসব সমস্যার সমাধান করি, সেগুলো প্রায়ই অস্পষ্ট এবং অনেক সময় সুস্পষ্টভাবে অমীমাংসিত থাকে। এটি শিক্ষার্থীদের জন্য এই দক্ষতাগুলি শেখা ও প্রয়োগ করা আরও চ্যালেঞ্জিং করে তোলে। পরবর্তী অংশে এই চ্যালেঞ্জগুলো আলোচনা করা হবে এবং ২০১৩ সালের ''দ্য বিগ সিক্স হিস্ট্রিকাল থিংকিং কনসেপ্ট'' (ছয়টি বড় ঐতিহাসিক চিন্তাভাবনার ধারণা)-র মাধ্যমে ঐতিহাসিক চিন্তা শেখানোর পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করা হবে।
==== ঐতিহাসিক চিন্তা - দ্য বিগ সিক্স ====
বহু বছরের গবেষণা ও সরাসরি শ্রেণিকক্ষ অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে সেক্সাস ও মর্টন (২০১৩) ঐতিহাসিক চিন্তা দক্ষতা বিকাশের জন্য ছয়টি অপরিহার্য যোগ্যতার একটি সেট তৈরি করেন। উপরোক্ত বিজ্ঞান ও গণিত শিক্ষার মতোই, ইতিহাস শিক্ষায় ‘বিগ সিক্স’ পদ্ধতি শিক্ষার্থীদের সহজ কাজ থেকে জটিল কাজের দিকে অগ্রসর হওয়ার সুযোগ দেয়। তদুপরি, এই পদ্ধতির উদ্দেশ্য হলো শিক্ষার্থীদের “সাধারণ উপলব্ধ ধারণার উপর নির্ভরতা থেকে সরে এসে ইতিহাস বোঝার জন্য সংস্কৃতির সবচেয়ে শক্তিশালী বুদ্ধিবৃত্তিক সরঞ্জাম ব্যবহার করা” শেখানো। (পৃষ্ঠা ১) <ref name="”S”2" /> এছাড়াও, বিগ সিক্স ধারণাগুলো শিক্ষার্থীদের দেখায় যে অতীতের ইতিহাস নির্মাণ করতে গেলে কী ধরণের জটিলতার মুখোমুখি হতে হয়। এই ছয়টি দক্ষতার মধ্যে রয়েছে: ঐতিহাসিক গুরুত্ব, প্রমাণ, ধারাবাহিকতা ও পরিবর্তন। কারণ ও পরিণতি, ঐতিহাসিক দৃষ্টিভঙ্গি, এবং নৈতিক মাত্রা।
'''ঐতিহাসিক গুরুত্ব'''
ইতিহাস সম্পর্কে সমালোচনামূলক দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে তুলতে হলে শিক্ষার্থীদের বুঝতে ও সংজ্ঞায়িত করতে হবে কী কারণে একটি ব্যক্তি, ঘটনা, বা সামাজিক পরিবর্তন ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ এবং কেন তাদের এ বিষয়ে সময় ব্যয় করা উচিত। ইতিহাস শিক্ষায় আচরণবাদী পদ্ধতি। সেখানে পাঠ্যপুস্তকই প্রধান তথ্য উৎস, শিক্ষার্থীদের ইতিহাস শেখায় প্যাসিভ বা নিষ্ক্রিয় হয়ে উঠতে। পাঠ্যপুস্তকই যেন নির্ধারণ করে দেয় কী জানতে হবে। উপরন্তু, শুধুমাত্র পাঠ্যপুস্তকের উপর নির্ভর করে জাতীয় ইতিহাস শেখানো “মাস্টার ন্যারেটিভ” তৈরি করতে পারে। এটি শিক্ষার্থীদের দেশের অতীতের বিতর্কিত দিকগুলো জানার সুযোগ সীমিত করে দেয়।<ref name="CA">Carretero, M., & van Alphen, F. (2014). Do Master Narratives Change Among High School Students? A Characterization of How National History Is Represented. Cognition and Instruction, 32(3), 290–312. http://doi.org/10.1080/07370008.2014.919298</ref> পাঠ্যপুস্তক থেকে মনোযোগ সরিয়ে দিলে, শিক্ষার্থীরা ঐতিহাসিকদের মতো করে অতীত বিশ্লেষণের ধাপ অনুসরণ করে সমালোচনামূলক চিন্তা দক্ষতা আরও ভালোভাবে উন্নয়ন করতে পারে এবং “ঐতিহাসিক গুরুত্ব সম্পর্কে যুক্তিসংগত সিদ্ধান্ত” তৈরি করতে পারে। <ref name="”S”2" /> তবে, এমনকি যদি শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক উৎস উপস্থাপন করাও হয়, তবু যদি তাদের শেখানো না হয় কেন এই নির্দিষ্ট প্রমাণ বা বিষয়গুলো নির্বাচন করা হয়েছে এবং কেন এগুলো গুরুত্বপূর্ণ, তাহলে তারা ইতিহাস গঠনে মানবিক প্রেরণার প্রভাব অনুধাবন করতে ব্যর্থ হতে পারে। বিজ্ঞানী যেভাবে “পজিটিভিস্টিক যুক্তিবাদের সংজ্ঞা” ব্যবহার করেন, ঐতিহাসিক চিন্তা তার চেয়ে ভিন্ন; এটি শিক্ষার্থীদেরকে অনুধাবন করাতে হয় তাদের নিজের প্রেরণা, শিক্ষকের বিষয় নির্বাচনের প্রেরণা, এবং অতীতের মানুষের প্রেরণা সম্পর্কে। <ref name="”Freedman2015”">Freedman, E. B. (2015). “What Happened Needs to Be Told”: Fostering Critical Historical Reasoning in the Classroom. Cognition and Instruction, 33(4), 357–398. http://doi.org/10.1080/07370008.2015.1101465</ref>
সেক্সাস ও মর্টন (২০১৩) ঐতিহাসিক গুরুত্ব নির্ধারণের দুটি উপাদান চিহ্নিত করেছেন: “আজকের জীবনে বিদ্যমান বড় ও প্রাসঙ্গিক উদ্বেগ যেমন পরিবেশগত স্থায়িত্ব, ন্যায়বিচার, ক্ষমতা, ও কল্যাণ” এবং “বিশেষ কিছু ঘটনা, বস্তু, ও ব্যক্তিত্ব যাদের ঐতিহাসিক গুরুত্ব নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে” (পৃষ্ঠা ১৬) <ref name="”S”2" /> এই দুটি উপাদানের সংযোগস্থলে ঐতিহাসিক গুরুত্ব নির্ধারিত হয়। এখানে ফ্রিডম্যান (২০১৫)-এর সমালোচনামূলক ঐতিহাসিক যুক্তির সংজ্ঞাটি যুক্ত করা প্রাসঙ্গিক। এটি আমাদের বোঝায় যে ইতিহাস অধ্যয়ন নিরপেক্ষ নয়। ইতিহাসবিদরা “তাদের অনুসন্ধান নির্ধারণ করেন তারা যে প্রশ্ন করেন ও যে তত্ত্ব ব্যবহার করেন তার মাধ্যমে” এবং তাই ইতিহাস শিক্ষার্থীদের “ঐতিহাসিক বর্ণনার সততা ও এর জোর ও উপেক্ষার ধরণ” বিশ্লেষণ করতে হয় (পৃষ্ঠা ৩৬০)। <ref name="”Freedman2015”" /> সমালোচনামূলক ঐতিহাসিক যুক্তি শিক্ষার্থীদের শেখায় তারা যে ফ্রেমটি গ্রহণ করেছে তা সম্পর্কে সচেতন হওয়া এবং এই ফ্রেমের সুবিধা ও সীমাবদ্ধতা বুঝতে পারা (পৃষ্ঠা ৩৬০)। <ref name="”Freedman2015”" /> অতএব, ইতিহাসবিদ ও ইতিহাস শিক্ষার্থীদের উভয়কেই বুঝতে হবে যে ঐতিহাসিক গুরুত্ব আরোপিত হয়, এটি অতীতের কোনো অন্তর্নিহিত গুণ নয়, এবং এটি পরিবর্তনশীল।
'''প্রমাণ'''
সেক্সাস ও মর্টন (২০১৩) বর্ণিত দ্বিতীয় দক্ষতা হলো অতীত সম্পর্কিত প্রশ্নের উত্তরে প্রমাণ ব্যবহার করা। ওয়াইনবার্গ (১৯৯১) একটি গবেষণায় উৎস নথিপত্র বিশ্লেষণে ব্যবহৃত জ্ঞানীয় প্রক্রিয়াগুলো নির্ণয় করেন এবং তিনটি কৌশলের কথা বলেন: প্রতিপাদন (মিলিয়ে দেখা), সোর্সিং (লেখক নির্ধারণ), এবং প্রাসঙ্গিকীকরণ বা প্রেক্ষাপটে স্থাপন। প্রতিপাদন মানে এক উৎসের সঙ্গে অন্যটির তুলনা করা, সোর্সিং মানে উপাত্ত পড়ার আগে লেখককে চিহ্নিত করা, এবং প্রাসঙ্গিকীকরণ মানে প্রমাণকে নির্দিষ্ট সময় ও স্থানে স্থাপন করা (পৃষ্ঠা ৭৭)। <ref name="Wa">Wineburg, S. S. (1991). Historical problem solving: A study of the cognitive processes used in the evaluation of documentary and pictorial evidence. Journal of Educational Psychology, 83(1), 73–87. http://doi.org/10.1037/0022-0663.83.1.73</ref>
এই গবেষণায় ইতিহাসবিদ ও উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে পার্থক্য তুলনা করা হয়। ওয়াইনবার্গ (১৯৯১) দেখান, ইতিহাসবিদরা সফল হয় কারণ তারা কোনো নির্দিষ্ট ঘটনা সম্পর্কে “পরিপ্রেক্ষিতভিত্তিক স্কিমা” তৈরি করে, বিজ্ঞান ও গণিতে ব্যবহৃত সাধারণ স্কিমা প্রসেসিংয়ের বিপরীতে (পৃষ্ঠা ৮৩)। <ref name="Wa" /> এছাড়াও, ইতিহাসবিদরা নথির উৎসের প্রতি শিক্ষার্থীদের চেয়ে বেশি সচেতনতা দেখিয়েছেন। এটি বোঝায় যে শিক্ষার্থীরা লেখকের পরিচয় ও উৎসের নির্ভরযোগ্যতার সম্পর্কটি বুঝতে পারেনি। ওয়াইনবার্গ বলেন, “কোনো বিবরণই মুক্তভাবে বিচ্ছিন্ন নয়, প্রতিটি বিবরণ কোনো সাক্ষীর সঙ্গে যুক্ত, এবং যদি সাক্ষী সন্দেহজনক হয়, তবে তাদের বিবরণও সন্দেহজনক” (পৃষ্ঠা ৮৪)। <ref name="Wa" /> এই গবেষণা দেখায় ইতিহাস নির্মাণে ইতিহাসবিদদের ব্যবহার করা জ্ঞানীয় কৌশল শেখানোর মাধ্যমে ঐতিহাসিক বোঝাপড়া উন্নত করা যেতে পারে।
অতীত সম্পর্কে একাধিক বর্ণনা থাকতে পারে। কারণ প্রত্যেকে তার নিজস্ব মূল্যবোধ ও অভিজ্ঞতা অনুযায়ী ইতিহাস ব্যাখ্যা করে। এটি স্বীকৃতি দিলে শিক্ষার্থীরা সাধারণ ইতিহাসের উপস্থাপনায় সন্তুষ্ট না থেকে একটি সমালোচনামূলক দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করতে পারে। ফ্রিডম্যান (২০১৫)-এর ভিয়েতনাম যুদ্ধ সংক্রান্ত গবেষণায় দেখা যায় যে প্রাথমিক উৎস বিশ্লেষণের মাধ্যমে এবং পাঠ্যপুস্তকের সাথে তুলনা করে শিক্ষার্থীরা বুঝতে পারে তারা কিভাবে ইতিহাস “ফ্রেম” করে। <ref name="”Freedman”">Freedman, E. B. (2015). “What Happened Needs to Be Told”: Fostering Critical Historical Reasoning in the Classroom. Cognition and Instruction, 33(4), 357–398. http://doi.org/10.1080/07370008.2015.1101465</ref> শিক্ষার্থীদের যদি প্রমাণভিত্তিক ব্যাখ্যা তৈরি করার স্বাধীনতা দেওয়া হয়, তাহলে ইতিহাসকে একটি স্থির জ্ঞানভান্ডার হিসেবে না দেখে তারা এটি বিশ্লেষণমূলকভাবে চিন্তা করতে শিখবে।
'''ধারাবাহিকতা ও পরিবর্তন'''
ধারাবাহিকতা ও পরিবর্তনের ধারণা গড়ে তুলতে হলে শিক্ষার্থীদের বুঝতে হবে ইতিহাসের ধারাবাহিকতায় এই দুটি উপাদান একসঙ্গে থাকে; কিছু জিনিস পরিবর্তিত হয়, আবার কিছু একই রকম থাকে। শিক্ষার্থীরা যদি নিজেদের জীবনে এই দুটি উপাদান চিহ্নিত করতে পারে, তাহলে তারা ইতিহাস অধ্যয়নে তা প্রয়োগ করতে পারবে। <ref name="S">Seixas, P., Morton, T., Colyer, J., & Fornazzari, S. (2013). The Big Six: Historical thinking Concepts. Toronto: Nelson Education.</ref> শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করা উচিত ইতিহাসের পরিবর্তনের গতি ও গভীরতা ব্যাখ্যা করতে এবং এটি অগ্রগতি না পতনের নিদর্শন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে।<ref name="S" /> ইতিহাসের পরিবর্তন ইতিবাচক না নেতিবাচক তা মূল্যায়ন সম্পূর্ণরূপে দর্শকের দৃষ্টিভঙ্গির উপর নির্ভর করে।
একটি উদাহরণ হলো সংস্কৃতি ও জাতীয় পরিচয়ের ধারাবাহিকতা। ক্যারেটেরো ও ভ্যান আলফেন (২০১৪) আর্জেন্টিনার উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে “মাস্টার ন্যারেটিভ” বিশ্লেষণ করে দেখান কিভাবে পরিচয় ইতিহাস শিক্ষায় সহায়ক হলেও অতীত ও বর্তমান গুলিয়ে ফেলতে পারে, যেমন বিজয়ী যুদ্ধ বা বিপ্লবের ক্ষেত্রে “আমরা” শব্দ ব্যবহার করা যা একটি জাতি গঠনে ভূমিকা রেখেছে (পৃষ্ঠা ৩০৮-৩০৯)। <ref name="CA" /> তাই শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সময় পর্ব চিহ্নিত করতে শেখানো জরুরি। তবে, '''ইতিহাসের পর্যায় বিভাজন''' নিজেই একটি ব্যাখ্যামূলক কাজ এবং এটি ইতিহাসবিদদের করা প্রশ্নের উপর নির্ভর করে। <ref name="S" />
শিক্ষায় প্রযুক্তির ব্যবহার, যেমন ইন্টারঅ্যাকটিভ টাইমলাইন, ইতিহাসভিত্তিক গেমস এবং অনলাইন আলোচনা, শিক্ষার্থীদের অতীত ও বর্তমানের মধ্যে সংযোগ গড়ে তুলতে সাহায্য করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, কানাডার মেডিকেয়ার বিষয়ে সভ্যতার জাদুঘর একটি ইন্টারঅ্যাকটিভ শিক্ষণ সরঞ্জাম সরবরাহ করে (http://www.museedelhistoire.ca/cmc/exhibitions/hist/medicare/medic01e.shtml)। ইন্টারঅ্যাকটিভ টাইমলাইন শিক্ষার্থীদের ধারাবাহিকতা, পরিবর্তন। কারণ ও পরিণতির মধ্যে সংযোগ দেখতে সহায়তা করে। এছাড়াও, শক্তিশালী অনুসন্ধানমূলক প্রশ্নের মাধ্যমে টাইমলাইনের নির্দেশনা দিলে শিক্ষার্থীদের বোঝাপড়া আরও গভীর হতে পারে এবং ঐতিহাসিক চিন্তা দক্ষতা বিকাশে সহায়তা করে।
উদাহরণস্বরূপ, ইউরোপীয় রেনেসাঁ সম্পর্কে একটি অনুসন্ধান নিম্নোক্ত প্রশ্ন দ্বারা পরিচালিত হতে পারে: “ইউরোপের সকলেই কি রেনেসাঁকে একইভাবে অভিজ্ঞতা করেছে?” এই ধরনের প্রশ্ন খোলা-প্রান্তিক হয় যাতে শিক্ষার্থীদের অনুসন্ধানকে নির্দিষ্ট পথে সীমাবদ্ধ না করে, বরং রেনেসাঁর পরিবর্তন এবং ইউরোপীয় সমাজের ধারাবাহিকতার মধ্যে একটি সম্পর্ক নির্দেশ করে। ঐতিহাসিক চিন্তাকে সহায়তা করার জন্য শিক্ষাগত প্রযুক্তির অন্যান্য উদাহরণগুলোর মধ্যে “''ওয়ার্ল্ড হিস্ট্রি ফর অল অফ আস''” (''আমাদের সকলের জন্য বিশ্ব ইতিহাস'' ''-'' [http://worldhistoryforusall.sdsu.edu/ http://worldhistoryforusall.এসডিsu.edu/]) প্রকল্প অন্তর্ভুক্ত। এই ওয়েবসাইটটি বিশ্ব ইতিহাসের ইউনিটগুলোকে বৃহৎ পরিসর এবং স্থানীয় পর্যায়ে ভাগ করেছে এবং তা ঐতিহাসিক সময়কাল অনুসারে সংগঠিত। পাঠ পরিকল্পনা এবং সংস্থানগুলো শিক্ষার্থীদের স্থানীয় ইস্যু ও বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটের মধ্যে সংযোগ স্থাপনে সহায়তা করতে পারে। এটি বিশ্ব ইতিহাসকে প্রভাবিত করে। অবশেষে, ব্ল্যাকেনশিপ (২০০৯) এর একটি কেস স্টাডি প্রস্তাব করে অনলাইন আলোচনা গোষ্ঠীগুলি সমালোচনামূলক চিন্তন বিকাশে উপকারী। কারণ এগুলোর মাধ্যমে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের চিন্তার প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করতে পারেন এবং ফলস্বরূপ, গঠনমূলক মূল্যায়ন ও প্রয়োজনীয় শিক্ষণ হস্তক্ষেপের ধরন নির্ধারণে সহায়তা পান। ব্ল্যাকেনশিপ (২০০৯) আরও গবেষণার উল্লেখ করেন যা অনলাইন আলোচনার পক্ষে যুক্তি দেয়। কারণ এতে শিক্ষার্থীরা আলোচনার আগে তাদের চিন্তা সংগঠিত করতে পারে; এতে তাদের পূর্ববর্তী জ্ঞান কাজে লাগাতে এবং নিজের ধারণা বিবেচনা করার জন্য বেশি সময় পাওয়া যায়। <ref>Blackenship, W. (2009). Making connections: Using online discussion forums to engage students in historical inquiry. Social Education, 73(3), 127-130.</ref>
'''কারণ ও পরিণতি'''
ঐতিহাসিক চিন্তার দক্ষতা হিসেবে কারণ ও পরিণতির ধারণা শিক্ষার্থীদেরকে ঐতিহাসিক ঘটনাবলীর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কারণ এবং তার তাৎক্ষণিক ও দীর্ঘমেয়াদি পরিণতি চিহ্নিত করতে পারার দক্ষতা অর্জনে সহায়তা করে। ঐতিহাসিক পরিবর্তনের কারণগুলি বোঝার জন্য ব্যক্তির কর্মকাণ্ড ও সেই সময়ের প্রচলিত পরিস্থিতি উভয়কেই স্বীকৃতি দেওয়া প্রয়োজন। ঐতিহাসিক চিন্তা শিক্ষার্থীদেরকে সরল, তাৎক্ষণিক কারণের বাইরে গিয়ে ইতিহাসকে “পারস্পরিকভাবে সংযুক্ত কারণ ও পরিণতির একটি জাল” হিসেবে ভাবতে শেখায়। এটির প্রতিটির উপর বিভিন্ন প্রভাব রয়েছে (পৃষ্ঠা ১১০)। <ref name="S2" /> অতীতকে আরও ভালভাবে বোঝার পাশাপাশি, এই দক্ষতাগুলি শিক্ষার্থীদের বর্তমানের দ্বন্দ্ব ও সমস্যাগুলো বোঝতেও সহায়তা করতে পারে। শ্রেইনার (২০১৪) নবীন/বিশেষজ্ঞ বিন্যাস ব্যবহার করে যাচাই করেন কীভাবে মানুষ ইতিহাসের জ্ঞান ব্যবহার করে বর্তমান ঘটনার বিষয়ে যুক্তিসঙ্গত সিদ্ধান্তে পৌঁছায়। উপরে উল্লিখিত ওয়াইনবার্গ (১৯৯১) গবেষণার অনুরূপভাবে, শ্রেইনার (২০১৪) দেখতে পান যে বিশেষজ্ঞরা প্রেক্ষাপট স্থাপন এবং উৎস বিশ্লেষণে বেশি দক্ষ। এটি তাদেরকে দলিলের নির্ভরযোগ্যতা ও ব্যবহারিকতা যাচাই করে যুক্তিসঙ্গত রায়ে পৌঁছাতে সাহায্য করে। এছাড়াও, গবেষণায় দেখা যায় যে শিক্ষার্থীরা অর্থ নির্মাণে বর্ণনা ব্যবহার করে, তবে তারা সাধারণত “স্কিমেটিক ন্যারেটিভ টেমপ্লেট” তৈরি করে। এটি অতীত সম্পর্কে সাধারণ বিবৃতি দেয় কিন্তু নির্দিষ্ট তথ্য ও ঘটনা থাকে না। <ref>Shreiner, T. L. (2014). Using Historical Knowledge to Reason About Contemporary Political Issues: An Expert–Novice Study. Cognition and Instruction, 32(4), 313–352. http://doi.org/10.1080/07370008.2014.948680</ref> সেইক্সাস ও মর্টন (২০১৩) অতিসরলেখ টাইমলাইন ব্যবহারে সাবধান করে দেন কারণ এতে ইতিহাসকে বিচ্ছিন্ন ঘটনাবলীর একটি তালিকা মনে হতে পারে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ঐতিহাসিক বর্ণনা যা সময়কালভিত্তিক এবং কারণ-পরিণতি সম্পর্কযুক্ত, সেইসাথে সময়ের সাথে পরিবর্তন অন্তর্ভুক্ত করে, তা বর্তমান ইস্যু বোঝার জন্য সহায়ক।<ref name="S2" /> সুতরাং, শিক্ষকদের উচিত শিক্ষার্থীদের মধ্যে এই দক্ষতাগুলির বিকাশ ঘটানো। ঐতিহাসিক পরিবর্তনের মতোই, ইতিহাসের কিছু কর্মকাণ্ডের পরিণতি বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি অনুযায়ী ইতিবাচক বা নেতিবাচক হিসেবে দেখা যেতে পারে। এটি নিচে আরও বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হবে।
'''ঐতিহাসিক দৃষ্টিভঙ্গি ও নৈতিকতা'''
সেইক্সাস ও মর্টনের প্রস্তাবিত চূড়ান্ত দুটি ঐতিহাসিক চিন্তার দক্ষতা হলো ঐতিহাসিক দৃষ্টিভঙ্গি ও নৈতিকতা। ঐতিহাসিক দৃষ্টিভঙ্গি বলতে ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট বিশ্লেষণ বোঝায়। এটি একটি ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্বকে কোনো ঘটনা বা কর্মকাণ্ড নির্দিষ্টভাবে দেখাতে বা কাজ করতে প্রভাবিত করে। এতে অন্তর্ভুক্ত হতে পারে ধর্মীয় বিশ্বাস, সামাজিক অবস্থান, ভৌগোলিক অবস্থান, সময়কাল, প্রচলিত অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং সামাজিক/সাংস্কৃতিক অবস্থা। এখানে প্রমাণ ব্যাখ্যার প্রয়োজন হয় কারণ প্রায়শই আমাদের কাছে এমন তথ্য থাকে না যা সরাসরি কোনো ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্বের মনোভাব বা কার্যকারণের কারণ ব্যাখ্যা করে। প্রাথমিক উৎস দলিল, যেমন চিঠি বা ডায়েরি, কিছুটা ধারণা দিতে পারে, কিন্তু তবুও ঐতিহাসিকদেরকে তথ্যগুলো ব্যাখ্যা করে তা বৃহত্তর ঐতিহাসিক বর্ণনা বা কোনো ব্যক্তির জীবনীচিত্রে সংযুক্ত করতে হয়। পাশাপাশি, “কঠোর পরিসংখ্যান, যেমন জন্ম ও মৃত্যুহার, বিবাহের গড় বয়স, সাক্ষরতার হার, এবং পরিবারের আকার... এগুলো আমাদের মানুষের অভিজ্ঞতা, চিন্তা ও অনুভূতি সম্পর্কে ধারণা করতে সহায়তা করে” (পৃষ্ঠা ১৪৩)। <ref name="S2" /> অবশ্যই, অতীত সম্পর্কে আমাদের অনুমান করার সীমাবদ্ধতা রয়েছে; তবে সেইক্সাস ও মর্টন (২০১৩) প্রস্তাব করেন, অতীত সম্পর্কে আমরা কী জানি না, তা স্বীকার করাও “সুস্থ ঐতিহাসিক চিন্তার” অংশ (পৃষ্ঠা ১৪৩)। <ref name="S2" /> শিক্ষার্থীরা অতীত ও বর্তমান জীবনধারা ও দৃষ্টিভঙ্গির পার্থক্য পর্যবেক্ষণ করে, যেসব মানবিক বৈশিষ্ট্য সময় অতিক্রম করে বিদ্যমান থাকে (যেমন সন্তানের প্রতি ভালোবাসা), তা চিহ্নিত করে এবং '''বর্তমানতাবাদ''' ও '''কালগত ভুল''' এড়িয়ে ঐতিহাসিক দৃষ্টিভঙ্গি অনুশীলন করতে পারে। <ref name="S2" /> ঐতিহাসিক দৃষ্টিভঙ্গির গভীরতর বোঝাপড়া শিক্ষার্থীদের সহায়তা করবে যখন তারা বিরোধপূর্ণ ঐতিহাসিক ব্যাখ্যার মুখোমুখি হবে। কারণ তারা দেখতে পারবে ঐতিহাসিক ব্যক্তিরা কোন প্রেক্ষাপট থেকে এসেছে এবং সে অনুযায়ী তাদের কর্মকাণ্ড বুঝতে পারবে। ঐতিহাসিক দৃষ্টিভঙ্গি ও নৈতিকতা একে অপরের সাথে সম্পর্কযুক্ত। সেইক্সাস ও মর্টন (২০১৩) যুক্তি দেন, “ঐতিহাসিক চিন্তার নৈতিক মাত্রা ইতিহাস অধ্যয়নে অর্থ প্রদান করে” (পৃষ্ঠা ১৭০)। <ref name="S2" /> কোনো ব্যক্তির কর্মকাণ্ডের নৈতিক কারণ বোঝার জন্য আমাদের ঐতিহাসিক, ভৌগোলিক ও সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপটের প্রভাব বুঝতে হয়। পাশাপাশি, অতীতের নৈতিক পরিণতি বোঝার জন্য আমাদের নৈতিক মূল্যায়ন করতে হয়। এটি “সহানুভূতিশীল বোঝাপড়া [চাই]; তাদের ও আমাদের নৈতিক জগতের পার্থক্য বোঝা” (সিক্সাস এবং পেক, ২০০৪, পৃষ্ঠা ১১৩)। <ref>Seixas, P., & Peck, C. (2004). Teaching Historical Thinking. Challenges and Prospects for Canadian Social Studies, 109–117.</ref> ঐতিহাসিক চিন্তার অভিজ্ঞতা কম থাকলে শিক্ষার্থীরা বর্তমান সমাজের নৈতিক মানদণ্ড থেকে অতীতকে আলাদা করে ভাবতে পারে না। এছাড়াও, শিক্ষার্থীরা প্রায়শই অন্যান্য সংস্কৃতিকে নিজেদের সংস্কৃতির তুলনায় বেশি সমালোচনামূলক দৃষ্টিতে দেখে; অনেক সময় নিজেদের জাতির কর্মকাণ্ডকে সমর্থন বা যৌক্তিকতা দেয়। <ref name="L">Lopez, C., Carretero, M., & Rodriguez-Moneo, M. (2014). Telling a national narrative that is not your own. Does it enable critical historical consumption? Culture & Psychology , 20 (4 ), 547–571. http://doi.org/10.1177/1354067X14554156</ref> তাই, লোপেজ, কারেতেরো এবং রদ্রিগেজ-মোনেও (২০১৪) প্রস্তাব করেন, শিক্ষার্থীদের নিজেদের দেশের বাইরে অন্য জাতির জাতীয় বর্ণনা বিশ্লেষণে ব্যবহার করলে সমালোচনামূলক ঐতিহাসিক চিন্তা আরও কার্যকরভাবে বিকাশ লাভ করে। যখন শিক্ষার্থীরা অতীতের নৈতিক সিদ্ধান্ত বিশ্লেষণে দক্ষ হয়, তখন তারা এই দক্ষতা বর্তমান সময়ের নৈতিক প্রশ্ন বিশ্লেষণে প্রয়োগ করতে পারে। ভূমিকাভিত্তিক অভিনয় ঐতিহাসিক দৃষ্টিভঙ্গি শেখানোর একটি কার্যকর শিক্ষণ কৌশল। ঐতিহ্যগত, সামনাসামনি শ্রেণিকক্ষে নাট্যভিত্তিক ভূমিকা পালন, বিতর্ক এবং মক ট্রায়াল পরিচালনা করা যায় যেখানে শিক্ষার্থীরা ইতিহাসের কোনো ব্যক্তি বা সামাজিক গোষ্ঠীর ভূমিকায় অভিনয় করতে পারে। এছাড়াও, শিক্ষামূলক গেম এবং ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এই কৌশলের সাথে প্রযুক্তির একত্রীকরণ করা যায়। হুইটওয়ার্থ ও বারসন (২০০৩) দেখতে পান যে ১৯৯০-২০০০ এর দশকে সামাজিক বিজ্ঞানের শ্রেণিকক্ষে প্রযুক্তি মূলত ইন্টারনেটকে শ্রেণিকক্ষে ব্যবহৃত উপকরণের ডিজিটাল সংস্করণ হিসেবে ব্যবহারে সীমাবদ্ধ ছিল। তারা প্রস্তাব করেন, প্রযুক্তির বিকল্প ব্যবহার—যেমন অনুসন্ধানভিত্তিক ওয়েবকোয়েস্ট, সিমুলেশন, এবং সহযোগিতামূলক কর্মপরিবেশ—শিক্ষার্থীদের মধ্যে পারস্পরিক যোগাযোগ ও সমালোচনামূলক চিন্তন দক্ষতা বাড়ায়। <ref>Whitworth, S. A., & Berson, M. J. (2003). Computer technology in the social studies: An examination of the effectiveness literature (1996-2001). Contemporary Issues in Technology and Teacher Education [Online serial], 2(4). Retrieved from http://www.citejournal.org/volume-2/issue-4-02/social-studies/computer-technology-in-the-social-studies-an-examination-of-the-effectiveness-literature-1996-2001</ref> ভূমিকা-ভিত্তিক চিন্তা উন্নয়নে সহায়ক শিক্ষণ উপকরণের একটি উদাহরণ হলো মুসে-ম্যাককর্ড-এর অনলাইন গেম সংগ্রহ (http://www.mccord-museum.qc.ca/en/keys/games/)। বিশেষভাবে, ভিক্টোরিয়ান যুগ এবং গর্জে ওঠা বিশের দশকের গেমগুলো শিক্ষার্থীদের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে উপযুক্ত সিদ্ধান্ত নিতে এবং সেই সময়কাল অতিক্রম করতে সহায়তা করে। এই গেমগুলো জাদুঘরের সংশ্লিষ্ট সংস্থানগুলোর সাথে সংযুক্ত। এটি শিক্ষার্থীদের ঐতিহাসিক সময়কাল সম্পর্কে গভীরতর বোঝাপড়া গড়ে তুলতে পারে। ইতিহাসের নৈতিক উপাদান শেখাতে ঐতিহাসিক বর্ণনা, ঐতিহাসিক ঘটনাবলীর উপর নৈতিক অবস্থান নিয়ে বিতর্ক এবং গৌণ তথ্যসূত্র বিশ্লেষণের কৌশল ব্যবহার করা যেতে পারে।
সারাংশে, পেশাদার ঐতিহাসিকদের ইতিহাস অধ্যয়নের কৌশল শিক্ষার্থীদের মধ্যে ঐতিহাসিক চিন্তা উন্নয়নে সহায়ক বলে বিবেচিত হয়। পেশাদার ঐতিহাসিকদের প্রমাণ মিলিয়ে দেখা, উৎস বিশ্লেষণ, এবং ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট প্রতিষ্ঠার মত জ্ঞানীয় প্রক্রিয়াগুলি সেইক্সাস ও মর্টনের ''দ্য বিগ সিক্স হিস্ট্রিকাল থিংকিং কনসেপ্ট'' (''ছয়টি বড় ঐতিহাসিক চিন্তাভাবনার ধারণা'' - ২০১৩)-এ প্রতিফলিত হয়েছে। ঐতিহাসিক চিন্তা শিক্ষার্থীদের সমস্যা সমাধানের দক্ষতা দেয়। এটি তাদের অতীত বোঝার পাশাপাশি বর্তমানের সাথে যুক্ত করে, তাদের দৃষ্টিভঙ্গিকে প্রসারিত করে, প্রচলিত সামাজিক অবস্থাগুলো উপলব্ধি করতে এবং পৃথিবীর সাথে তাদের সম্পর্ক গঠনে প্রভাব ফেলে। ঐতিহাসিক চিন্তা প্রকল্পের ওয়েবপেজ (http://historicalthinking.ca/lessons) এ সমস্ত ঐতিহাসিক দক্ষতার জন্য শিক্ষণ কৌশল দেখা যাবে।
== অ্যাকাডেমিক বিতর্কের মাধ্যমে শিক্ষা ==
''[[চিন্তন ও নির্দেশনা/সমস্যা সমাধান, সমালোচনামূলক চিন্তন ও যুক্তি#glos অ্যাকাডেমিক বিতর্ক|অ্যাকাডেমিক বিতর্কের]]'' পদ্ধতি ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের বিতর্ক ও সমালোচনামূলক চিন্তার দক্ষতা শেখানো একটি কার্যকর উপায় হতে পারে। অ্যাকাডেমিক বিতর্কে চারজনের একটি সহযোগিতামূলক দলকে দুটি জোড়ায় ভাগ করে একটি বিতর্ক বা বিষয়ে বিপরীত অবস্থান দেওয়া হয়, এরপর উভয় জোড়া তাদের নির্ধারিত অবস্থানের পক্ষে যুক্তি দেয়। তারপর তারা তাদের অবস্থান পরিবর্তন করে আবার যুক্তি উপস্থাপন করে, এবং অবশেষে, চারজনের দলটি মিলে একটি সর্বজনীন সমাধানে পৌঁছায় <ref>Johnson, D. W., & Johnson, R. T. (1993). Creative and critical thinking through academic controversy. The American Behavioral Scientist, 37(1), 40-53. Retrieved from https://www.proquest.com/docview/1306753602</ref>। এই কার্যক্রম বিতর্ক ও সমালোচনামূলক চিন্তার উভয় দিক শেখাতে কার্যকর হতে পারে, যদিও এটি কিছুটা পুরনো হতে পারে। কার্যক্রমটি স্বভাবতই বিতর্কমূলক। কারণ শিক্ষার্থীদের দুটি ভিন্ন অবস্থানের জন্য যুক্তি ও দাবির উদ্ভাবন করতে হয়। এই ভারসাম্য বিতর্কের প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটি শিক্ষার্থীদের তাদের নিজস্ব যুক্তি ও বিপক্ষের যুক্তি মূল্যায়নের সুযোগ দেয়। এটি যেকোনো বিতর্কে উপকারী হতে পারে। এছাড়াও, এই কার্যক্রম শিক্ষার্থীদের সমালোচনামূলক চিন্তার কয়েকটি দিক যেমন মূল্যায়ন, যুক্তিবোধ, এবং আত্মপর্যালোচনার সাথে যুক্ত করে। কারণ শিক্ষার্থীদের একটি সমন্বিত সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে হয়। এটি তাদের বিশ্লেষণাত্মক ও উদার মানসিকতা চর্চা করতে বাধ্য করে। এই কার্যক্রম শিক্ষার্থীদের উন্মুক্ত মন ও বিশ্লেষণাত্মক বিতর্কে অংশগ্রহণে উৎসাহিত করে। এটি সমালোচনামূলক চিন্তা ও বিতর্ক দক্ষতা বৃদ্ধিতে সহায়ক।
= শব্দকোষ =
; অ্যাকাডেমিক বিতর্ক
: একটি দ্বি-রাউন্ড বিতর্ক প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে ৪ জনের একটি সমবায় গ্রুপ বিরোধী জোড়ায় বিভক্ত হয় যা একটি বিতর্কে জড়িত। প্রতিটি জুটি তাদের নিজস্ব অবস্থানের জন্য যুক্তি দেয় এবং পরবর্তী রাউন্ডে বিরোধী অবস্থানে স্যুইচ করে।
; অ্যালগরিদম
: পদ্ধতিগুলো নির্দিষ্ট সমস্যাগুলোতে প্রয়োগ করা যেতে পারে যা সঠিকভাবে কার্যকর করা হলে সঠিক উত্তরের নিশ্চয়তা দেয়।
; অ্যানাক্রোনিজম
: এক সময়কালের বৈশিষ্ট্য বা ঘটনাকে অন্য সময়কালের জন্য দায়ী করা।
; বিশ্লেষণ
: আরও অনুমান এবং ব্যাখ্যার অনুমতি দেওয়ার জন্য প্রাসঙ্গিক তথ্য সনাক্তকরণ এবং নির্বাচন।
; যুক্তিতর্ক
: কোনও দাবি বা ধারণাকে সমর্থন বা খণ্ডন করার জন্য যুক্তি ব্যবহার করার প্রক্রিয়া।
; ক্রিটিক্যাল থিংকিং
: তথ্য ওজন, মূল্যায়ন এবং বোঝার সমন্বয়ে একটি প্রতিফলিত চিন্তাভাবনা
; ছাড়
: এক ধরণের যুক্তি যেখানে সাধারণ থেকে নির্দিষ্ট সিদ্ধান্তগুলো তৈরি করা হয়, প্রদত্ত তথ্য
; বর্ণনামূলক মডেল
: একটি নির্দেশমূলক পদ্ধতি যা ব্যাখ্যা করে কীভাবে ভাল চিন্তাভাবনা ঘটে।
; নকশা চিন্তাভাবনা
: শিক্ষার্থী কেন্দ্রিক শিক্ষা একটি বাস্তব-বিশ্বের সমস্যার সমাধান খুঁজে বের করার সাথে জড়িত।
; সরাসরি নির্দেশনা
: একটি গাইডেড লার্নিং পদ্ধতি যা সরাসরি জ্ঞানীয় দক্ষতা শেখায় এবং জ্ঞান স্পষ্টভাবে শিক্ষক থেকে শিক্ষার্থীর কাছে প্রেরণ করা জড়িত।
; স্বভাব [সমালোচনামূলক চিন্তার জন্য]
: বুদ্ধিবৃত্তিক আচরণে জড়িত হওয়ার জন্য একটি ঝোঁক, এই ধরনের আচরণগুলো জড়িত হতে পারে এমন সুযোগগুলোর প্রতি সংবেদনশীলতা এবং সমালোচনামূলক চিন্তনয় জড়িত হওয়ার জন্য একটি সাধারণ ক্ষমতা সহ সচেতনভাবে একটি দক্ষতা চয়ন করার ক্ষমতা।
; ডাইভারজেন্ট থিংকিং
: একাধিক এবং বৈচিত্র্যময় সমাধানের প্রজন্ম এবং পরীক্ষার দ্বারা চিহ্নিত চিন্তাভাবনা।
; ডোমেন নির্দিষ্ট জ্ঞান
: একটি বিশেষ এলাকা বা ক্ষেত্রের জ্ঞান।
; জ্ঞানতাত্ত্বিক বিশ্বাস
: প্রকৃতি ও জ্ঞান অর্জন সম্পর্কে বিশ্বাস।
; মূল্যায়ন
: বিশ্লেষণ, বিচার এবং ওজন করার উপ দক্ষতার জন্য একটি ছাতা শব্দ
; কার্যকরী স্থিরতা
: একটি পক্ষপাত যা কোনও ব্যক্তিকে কেবলমাত্র দৈনন্দিন জীবনে যেভাবে ব্যবহৃত হয় সেভাবে কোনও বস্তু ব্যবহার করতে সীমাবদ্ধ করে।
; অসুস্থ-সংজ্ঞায়িত সমস্যা
: যে সমস্যাগুলোর একটি সুস্পষ্ট লক্ষ্য, সমাধানের পথ বা প্রত্যাশিত উত্তর নেই।
; পরোক্ষ নির্দেশনা
: শিক্ষার্থী কীভাবে শেখানো উপাদানকে ব্যাখ্যা করে তার উপর জোর দিয়ে উপাদানগুলোর শিক্ষার্থী-ভিত্তিক নির্দেশনা
; আনয়ন
: এক ধরণের যুক্তি যেখানে নির্দিষ্ট তথ্য থেকে সাধারণ সিদ্ধান্তে আসা হয়
; অনুমান
: জ্ঞানের দুটি ইউনিটের মধ্যে এক ধরণের সংযোগ বা সমিতি
; অনুসন্ধান ভিত্তিক নির্দেশনা
: ন্যূনতম নির্দেশিত শিক্ষার একটি ফর্ম যা শিক্ষার্থীদের উপকরণগুলোর নিজস্ব বোঝার তৈরি করতে দেয়।
; জ্ঞান
: একজনের কাছে যে তথ্য রয়েছে, এর মধ্যে পরিচিত তথ্যের মধ্যে সংযোগ এবং সমিতি অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে
; মেটাকগনিশন
: জ্ঞান মানুষের নিজস্ব চিন্তা সম্পর্কে থাকে।
; পর্যায়ক্রম
: অতীতকে সময়ের স্বতন্ত্র ব্লকে শ্রেণিবদ্ধ করা (সময়কাল)।
; প্রেসক্রিপশন মডেল
: একটি নির্দেশমূলক পদ্ধতি যা ভাল চিন্তাভাবনার মানদণ্ড এবং বৈশিষ্ট্যগুলো ব্যাখ্যা করে
; উপস্থাপনবাদ
: বর্তমান সময়ের মূল্যবোধ এবং ধারণাগুলো ব্যবহার করে অতীতের ঘটনাগুলো ব্যাখ্যা করার প্রবণতা।
; সমস্যা ভিত্তিক শিক্ষা
: একটি ছাত্র-কেন্দ্রিক পদ্ধতি যেখানে শিক্ষার্থীরা একটি উন্মুক্ত সমস্যা বা প্রশ্ন সমাধানের অভিজ্ঞতার মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট বিষয় সম্পর্কে শিখতে পারে।
; সমস্যা উপস্থাপনা
: সমস্যা সমাধানকারীদের সমস্যাটি আরও ভালভাবে কল্পনা করার অনুমতি দেয় এবং এইভাবে তাদের সমাধানে পৌঁছাতে সহায়তা করে।
; সমস্যা সমাধান
: কগনিটিভ প্রসেসিং 'একটি লক্ষ্য অর্জনের জন্য ব্যবহৃত হয় যখন সমাধানকারীর কাছে কোনও সমাধান স্পষ্ট হয় না।
; উৎপাদন
: তর্কের প্রজন্ম
; প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা
: একটি ছাত্র-কেন্দ্রিক পদ্ধতি যেখানে শিক্ষার্থী একটি নির্দিষ্ট নকশা প্রক্রিয়ার মাধ্যমে একটি জটিল চ্যালেঞ্জের প্রতিক্রিয়া জানায়।
; স্ব-নিয়ন্ত্রণ
: নিজের শেখার ক্ষেত্রে মেটাকগনিটিভ, আচরণগতভাবে এবং অনুপ্রেরণামূলকভাবে সক্রিয় হওয়ার প্রক্রিয়া
; দক্ষতা কর্মসূচী
: সমস্যা সমাধানের মতো বিকল্প শিক্ষণ পদ্ধতির মাধ্যমে সিটি দক্ষতার বিকাশের সুবিধার্থে নকশা করা শিক্ষামূলক পাঠ্যক্রম
; সুসংজ্ঞায়িত সমস্যা
: যে সমস্যাগুলোর একটি সুস্পষ্ট লক্ষ্য, সমাধানের পথ বা প্রত্যাশিত উত্তর নেই।
= প্রস্তাবিত পাঠ =
# আব্রামি, পি.সি., বার্নার্ড, আর.এম., বোরোখভস্কি, ই., ওয়েড, এ., সার্কস, এম.এ., তামিম, আর., এবং ঝাং, ডি (২০০৮)। সমালোচনামূলক চিন্তন দক্ষতা এবং স্বভাবগুলোকে প্রভাবিত করে এমন নির্দেশমূলক হস্তক্ষেপ: একটি পর্যায় ১ মেটা-বিশ্লেষণ। শিক্ষাগত গবেষণা পর্যালোচনা, ৭৮ (৪)। ১১০২-১১৩৪. ডিওআই: ১০.৩১০২ / ০০৩৪৬৫৪৩০৮৩২৬০৮৪।
# Phan, H.P. (২০১০)। শিক্ষণ এবং শেখার ক্ষেত্রে একটি স্ব-নিয়ন্ত্রক প্রক্রিয়া উপাদান হিসাবে সমালোচনামূলক চিন্তন। সাইকোথেমা, ২২ (২)। ২৮৪-২৯২.
# Kozulin, A. & Presseisen, B.Z. (১৯৯৫)। মধ্যস্থতা শেখার অভিজ্ঞতা এবং মনস্তাত্ত্বিক সরঞ্জাম: শিক্ষার্থী শেখার একটি গবেষণায় ভাইগটস্কি এবং ফয়েরস্টাইনের দৃষ্টিভঙ্গি। শিক্ষাগত মনোবিজ্ঞানী, ৩০ (২), ৬৭-৭৫।
# Crowell, A., & Kuhn, D. (২০১১)। তরুণ কিশোর-কিশোরীদের চিন্তাভাবনা বিকাশের বাহন হিসাবে সংলাপমূলক যুক্তি। মনস্তাত্ত্বিক বিজ্ঞান, ২২ (৪), ৫৪৫-৫৫২। ডিওআই: ১০.১১৭৭ / ০৯৫৬৭৯৭৬১১৪০২৫১২।
== বহিঃসংযোগ ==
nadgiti1usn7qvh9kmutj6y08xwedig
85803
85802
2025-07-07T22:35:31Z
NusJaS
8394
85803
wikitext
text/x-wiki
আমরা প্রতিনিয়ত এমন বহু অস্পষ্টতা, মিথ্যা তথ্য, চ্যালেঞ্জ কিংবা পরিস্থিতির মুখোমুখি হই যা আমাদের ''[[চিন্তন ও নির্দেশনা/সমস্যা সমাধান, সমালোচনামূলক চিন্তন ও যুক্তি#glos সমালোচনামূলক চিন্তন|সমালোচনামূলক চিন্তন]],'' ''[[চিন্তন ও নির্দেশনা/সমস্যা সমাধান, সমালোচনামূলক চিন্তন ও যুক্তি#glos সমস্যা সমাধানের দক্ষতা|সমস্যা সমাধানের দক্ষতা]]'', এবং ''[[চিন্তন ও নির্দেশনা/সমস্যা সমাধান, সমালোচনামূলক চিন্তন ও যুক্তি#glos যুক্তি প্রদর্শনের দক্ষতা|যুক্তি প্রদর্শনের দক্ষতা]]'' প্রয়োগের দাবি রাখে। যদিও এই তিনটি শব্দ প্রায়ই একে অপরের পরিবর্তে ব্যবহার করা হয়, তবে এগুলোর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য রয়েছে। সমালোচনামূলক চিন্তন আমাদের পাঁচটি ইন্দ্রিয়ের মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্যের সাথে সক্রিয়ভাবে যুক্ত হতে এবং সেসব তথ্য নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা করতে সক্ষম করে। এটি আমাদের জ্ঞান বিশ্লেষণ, সমালোচনা, প্রয়োগ এবং নতুন ধারণা তৈরির ক্ষমতা প্রদান করে। সমালোচনামূলক চিন্তনকে সমস্যার সমাধান ও যুক্তি প্রদর্শনের একটি বিস্তৃত জ্ঞানগত দক্ষতা হিসেবে ধরা যায়। সমালোচনামূলক চিন্তনের মাধ্যমে আমরা কিছু যৌক্তিক সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারি, তবে সবসময় একটি নির্দিষ্ট 'সঠিক' ধারণা থাকে না। যা আমাদের কাছে 'সঠিক' মনে হয়, তা প্রায়ই খুবই বিষয়ভিত্তিক।
সমস্যা সমাধান হচ্ছে সমালোচনামূলক চিন্তনের একটি রূপ। এখানে শিক্ষার্থীদের এমন সিদ্ধান্ত নিতে হয়। এটি একটি নির্দিষ্ট সঠিক উত্তরের পরিবর্তে সম্ভাব্য সেরা সমাধান খুঁজে বের করার দিকে পরিচালিত করে। সেই সমস্যা বা সমাধান সুনির্দিষ্ট হোক বা অস্পষ্ট হোক, তা-ই হবে। সমস্যার সমাধানে অংশগ্রহণের একটি উপায় হলো জ্ঞানীয় শিক্ষক বা কগনিটিভ টিউটরের মতো টিউটর সিস্টেম ব্যবহার করা। এটি শিক্ষার্থীদের জন্য সমস্যা স্বনির্ধারণ করতে পারে। এটি তাদের শেখার অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করে। সমস্যার সমাধানের ক্ষেত্রে একটি বিশেষ পদ্ধতি হলো প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা। এখানে শিক্ষার্থীকে একটি কেন্দ্রীয় প্রশ্ন সমাধানের উপর গুরুত্ব দিয়ে শেখার কেন্দ্রে রাখা হয় এবং একটি বিস্তৃত অনুসন্ধানের মধ্য দিয়ে শেখানো হয়। সমস্যা ভিত্তিক শিক্ষা বাস্তব জীবনের সমস্যা নিয়ে কাজ করে যা শিক্ষার্থীদের বাস্তব অভিজ্ঞতার মাধ্যমে শেখাতে অনুপ্রাণিত করে। আরও একটি পদ্ধতি নকশা চিন্তন। এটি একটি নির্দিষ্ট কাঠামো ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের প্রকৃত সমস্যা সমাধানের জন্য একটি প্রোটোটাইপ তৈরি করতে উৎসাহিত করে। এই প্রক্রিয়াটিতে সহানুভূতি, বাস্তবসম্মত নকশা নীতিমালা এবং প্রোটোটাইপিং এর পরিশোধন প্রমাণ করে এখানে সমালোচনামূলক চিন্তন সক্রিয়ভাবে কাজ করছে।
একইভাবে, যুক্তি প্রদর্শন একটি সমালোচনামূলক চিন্তার প্রক্রিয়া। এখানে একক উত্তর না থাকলেও চিন্তা-ভাবনার মধ্যে আলোচনার প্রয়োজন পড়ে। যুক্তি প্রদর্শন বিশেষভাবে একটি দাবি বা ধারণাকে সমর্থন বা খণ্ডন করার জন্য যৌক্তিক ব্যাখ্যা ব্যবহার করে। তুলনামূলকভাবে, সমস্যা সমাধান হয়তো এমন একটি সমাধানে পৌঁছাতে পারে যা প্রমাণভিত্তিক বলে বিবেচিত হয়।
এই অধ্যায়ে এই তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের একটি তাত্ত্বিক পর্যালোচনা প্রদান করা হয়েছে: প্রতিটির বৈশিষ্ট্য, একে অপরের সাথে সম্পর্ক, এবং শ্রেণিকক্ষে বাস্তব প্রয়োগ।
'''শিক্ষার ফলাফল:'''
* সমালোচনামূলক চিন্তনের সংজ্ঞা ও এর জ্ঞানের সাথে পারস্পরিক সম্পর্ক ব্যাখ্যা করা
*
* সমস্যা সমাধানের সংজ্ঞা এবং কীভাবে এটি সমালোচনামূলক চিন্তনের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করে তা ব্যাখ্যা করা
*
* জ্ঞানীয় শিক্ষক কে একটি জ্ঞানীয় শেখার টুল হিসেবে উপস্থাপন করা। এটি সমস্যার সমাধানের মাধ্যমে শেখার মান উন্নত করে
*
* প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা কে সমস্যার সমাধানের একটি নির্দিষ্ট পদ্ধতি হিসেবে অনুসন্ধান করা
*
* নকশা চিন্তন কে প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা-এর একটি উপশ্রেণি হিসেবে বিশ্লেষণ করা এবং শেখার জন্য এর কাঠামো উপস্থাপন করা
*
* যুক্তি প্রদর্শনের সংজ্ঞা এবং এটি কীভাবে সমালোচনামূলক চিন্তার পদ্ধতি ব্যবহার করে তা ব্যাখ্যা করা
*
* যুক্তি প্রদর্শনের জন্য নির্দিষ্ট পদ্ধতি ও প্রয়োগের উপকরণ বিশ্লেষণ করা
= সমালোচনামূলক চিন্তন =
[[চিত্র:Critical_Thinking_Skills_Diagram.jpg|alt=সমালোচনামূলক চিন্তন এবং অন্যান্য জ্ঞানীয় দক্ষতার সাথে এর সম্পর্ক|থাম্ব|সমালোচনামূলক চিন্তন এবং অন্যান্য জ্ঞানীয় দক্ষতার সাথে এর সম্পর্ক]]
সমালোচনামূলক চিন্তন শিক্ষার একটি অত্যন্ত মূল্যবান দিক। মানুষের জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা যত বাড়ে, সমালোচনামূলক চিন্তনের ক্ষমতাও সাধারণত বাড়ে; কিন্তু এই বিকাশ যত তাড়াতাড়ি শুরু করা যায় ততই ভালো। গবেষণায় দেখা গেছে, সমালোচনামূলক চিন্তনের দক্ষতা জ্ঞানের স্থানান্তরের সাথে সম্পর্কযুক্ত, আর এই দক্ষতার অভাব পক্ষপাতদুষ্ট যুক্তির সাথে সম্পর্কিত <ref>Heijltjes, A., Van Gog, T., & Paas, F. (2014). Improving Students' Critical Thinking: Empirical Support for Explicit Instructions Combined with Practice. Applied Cognitive Psychology, 28(4), 518-530.</ref>। শিশুরা প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা শুরু করার আগেই বাড়িতে বাবা-মা ও অভিভাবকদের সাথে পারস্পরিক মিথস্ক্রিয়ার মাধ্যমে সমালোচনামূলক চিন্তন গড়ে তোলে <ref name=":16">Murphy, K. P., Rowe, M. L., Ramani, G., & Silverman, R. (2014). Promoting Critical-Analytic Thinking in Children and Adolescents at Home and in School. Educational Psychology Review, 26(4), 561-578.</ref>। এছাড়াও, স্পষ্ট নির্দেশনা দিলে এই দক্ষতা আরও বাড়ে <ref>Gick, M. L. (1986). Problem-Solving Strategies. Educational Psychologist, 21(1/2), 99-121.</ref>।
সমালোচনামূলক চিন্তন আমাদের এমন সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করে যা আমাদের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে যেমন নির্বাচন। এখানে প্রার্থীরা নিজেদের ও অন্যদের সম্পর্কে পক্ষপাতদুষ্ট তথ্য উপস্থাপন করে, খুব কার্যকর হয়। সমালোচনামূলক চিন্তনের অনুপস্থিতিতে মানুষ মিথ্যা তথ্য ও পক্ষপাতদুষ্ট যুক্তির শিকার হয়ে পড়তে পারে। তাই শিক্ষার্থীদেরকে সমালোচনামূলক চিন্তনের সাথে পরিচিত করানো এবং তারা যেন এটি ব্যবহার করে তা উৎসাহিত করা খুব জরুরি।
=== সমালোচনামূলক চিন্তনের সংজ্ঞা ===
সাধারণভাবে, সমালোচনামূলক চিন্তন বলতে বোঝায় যুক্তি এবং প্রমাণের মূল্যায়নের একটি প্রক্রিয়া। এর মাধ্যমে বিভিন্ন সম্ভাব্য সিদ্ধান্তের মধ্যে সবচেয়ে যথাযথ ও যুক্তিসম্মত সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যায়। এটি একটি গতিশীল এবং প্রতিফলনশীল প্রক্রিয়া। এটি মূলত প্রমাণভিত্তিক <ref name=":15">Ku, K. Y., Ho, I. T., Hau, K., & Lau, E. C. (2014). Integrating direct and ''[[চিন্তন ও নির্দেশনা/সমস্যা সমাধান, সমালোচনামূলক চিন্তন ও যুক্তি#glos Inquiry-Based Instruction|Inquiry_Based Instruction]]'' in the teaching of critical thinking: An intervention study. Instructional Science, 42(2), 251-169.</ref>।
সমালোচনামূলকভাবে চিন্তা করা মানে হলো তথ্যকে নিরপেক্ষভাবে বিশ্লেষণ করা, বিপরীতমুখী মতামত অন্বেষণ করা এবং অবশেষে প্রমাণ ও সুপরিকল্পিত চিন্তার ভিত্তিতে একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছানো। সমালোচনামূলক চিন্তাবিদেরা সরবরাহকৃত তথ্যের বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে, প্রমাণ অনুসন্ধান করে এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও জটিল সমস্যার সমাধানে দ্বিধা করেন না <ref name=":14">Mathews, S. R., & Lowe, K. (2011). Classroom environments that foster a ''[[চিন্তন ও নির্দেশনা/সমস্যা সমাধান, সমালোচনামূলক চিন্তন ও যুক্তি#glos Disposition for Critical Thinking|Disposition for Critical Thinking]]''. Learning Environments Research, 14(1), 59-73.</ref>। প্রশ্ন করা, কোনো বিষয় নিয়ে বিতর্ক করা, এবং তথ্যের উৎসের বিশ্বাসযোগ্যতা পর্যালোচনা করাও সমালোচনামূলক চিন্তার উদাহরণ।
গ্লেজার (১৯৪১) এর মতে, সমালোচনামূলক চিন্তনের তিনটি প্রধান উপাদান আছে: সমালোচনামূলক চিন্তার মানসিকতা, এই চিন্তাভাবনার কৌশল সম্পর্কে জ্ঞান, এবং কৌশলগুলো প্রয়োগ করার সক্ষমতা <ref>Glaser, E. M. (1941). An Experiment in the Development of Critical Thinking. Columbia University.</ref>।
তথ্যকে বিশ্লেষণ ও মূল্যায়নের মতো জ্ঞানীয় প্রক্রিয়াগুলোর মাধ্যমে সমালোচনামূলক চিন্তন কোনো বিষয় বা সমস্যাকে আরও গভীরভাবে বোঝার পথে নিয়ে যায়। চিন্তার একটি প্রতিফলনমূলক রূপ হিসেবে এটি নিজস্ব ধারণা, উদ্দেশ্য, অনুভূতি এবং আচরণ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে <ref name=":13">Phan, H.P. (2010). Critical thinking as a self-regulatory process component in teaching and learning. Psicothema, 22(2). 284-292.</ref>।
{| class="wikitable"
|<big>'''সমালোচনামূলক চিন্তনের উপাদান'''</big>
|-
|''[[চিন্তন ও নির্দেশনা/সমস্যা সমাধান, সমালোচনামূলক চিন্তন ও যুক্তি#glos Knowledge|জ্ঞান]]''
|একটি জ্ঞানের ভিত্তি গড়ে তোলা এবং জ্ঞান অর্জনের জন্য নির্দিষ্ট কৌশল তৈরি করা। এটি নির্দেশনার মাধ্যমে আরও কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
|-
|''[[চিন্তন ও নির্দেশনা/সমস্যা সমাধান, সমালোচনামূলক চিন্তন ও যুক্তি#glos Inference|অনুমান]]''
|বিদ্যমান জ্ঞানের ভিত্তির মধ্যে সংযোগ তৈরি করা ''[[চিন্তন ও নির্দেশনা/সমস্যা সমাধান, সমালোচনামূলক চিন্তন ও যুক্তি#glos Deduction|নির্গমন]]'' এবং/বা ''[[চিন্তন ও নির্দেশনা/সমস্যা সমাধান, সমালোচনামূলক চিন্তন ও যুক্তি#glos Induction|অনুমিতি]]'' এর মাধ্যমে।
|-
|''[[চিন্তন ও নির্দেশনা/সমস্যা সমাধান, সমালোচনামূলক চিন্তন ও যুক্তি#glos Evaluation|মূল্যায়ন]]''
|বিশ্লেষণ, বিচার, ওজন নির্ধারণ, নৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ, সমালোচনা এবং নিজস্ব ও বাহ্যিক তথ্যের প্রতি প্রশ্ন উত্থাপন।
|-
|''[[চিন্তন ও নির্দেশনা/সমস্যা সমাধান, সমালোচনামূলক চিন্তন ও যুক্তি#glos Metacognition|মেটাকগনিশন]]''
|"চিন্তার বিষয়ে চিন্তা" করার প্রক্রিয়া। এর মধ্যে নিজের সিদ্ধান্ত, মতামত বা বিশ্বাসগুলি যথাযথ ও প্রমাণসমর্থিত কি না তা মূল্যায়ন অন্তর্ভুক্ত।
|}
=== সমালোচনামূলক চিন্তন একটি পশ্চিমা ধারণা ===
[[চিত্র:EPSA_General_Assembly.jpg|alt=সমালোচনামূলক চিন্তনকে সব গণতান্ত্রিক নাগরিকদের জন্য অপরিহার্য বলে বিবেচনা করা হয়|থাম্ব|সমালোচনামূলক চিন্তনকে সব গণতান্ত্রিক নাগরিকদের জন্য অপরিহার্য বলে বিবেচনা করা হয়]]
আধুনিক শিক্ষায়, সমালোচনামূলক চিন্তনকে এমন একটি বিষয় হিসেবে বিবেচনা করা হয় যা সকলের শেখা উচিত এবং যা মানুষের সার্বজনীন প্রয়োজন, বিশেষ করে উচ্চশিক্ষায় <ref name=":0">Moon, J. (2007). Critical Thinking: An Exploration of Theory and Practice (1st ed.). London ; New York: Routledge.</ref><ref name=":18">Kurfiss, J. G. (1988). Critical Thinking: Theory, Research, Practice, and Possibilities: ASHE-ERIC/Higher Education Research Report, Volume 17, Number 2, 1988 (1st ed.). Washington, D.C: Jossey-Bass.</ref>। তবে, সমালোচনামূলক চিন্তন একটি মানবিক নির্মাণ <ref name=":19">Board on Testing and Assessment, Division of Behavioral and Social Sciences and Education, & National Research Council. (2011). Assessing 21st Century Skills: Summary of a Workshop. National Academies Press.</ref> – এটি কোনো বৈজ্ঞানিক সত্য নয় – এবং এটি [[w:Ancient_Greek_philosophy|প্রাচীন গ্রিক দর্শন]] ও বিশ্বাসের সাথে গভীরভাবে যুক্ত <ref name=":1">Mason, M. (2009). Critical Thinking and Learning. John Wiley & Sons.</ref>।
এই সংযোগ প্রাচীন গ্রিসের যুক্তিবাদী চিন্তার প্রাধান্য এবং গণতান্ত্রিক নীতির প্রতিফলন করে <ref name=":1" />। এল্ডার ও পল<ref name=":5">Elder, L., & Paul, R. (2009). The Art of Asking Essential Questions (5th Edition). Dillon Beach, CA: Foundation for Critical Thinking</ref>, মুন<ref name=":0" />, এবং স্ট্যানলিক এবং স্ট্রসার<ref name=":6">Paul, R., & Elder, L. (2007). The Thinker’s Guide to The Art of Socratic Questioning. Dillon Beach, CA: The Foundation for Critical Thinking.</ref> সহ বিভিন্ন লেখক বিশ্বাস করেন, সমালোচনামূলক চিন্তনের সূত্রপাত [[w:Socrates|সক্রেটিসের]] সময় থেকেই হয়েছে। মরগান ও স্যাক্সটন (২০০৬) সমালোচনামূলক চিন্তনকে গণতান্ত্রিক নাগরিকদের একটি মৌলিক প্রয়োজনীয়তা হিসেবে দেখেছেন <ref name=":3">Morgan, N., & Saxton, J. (2006). Asking Better Questions (2nd ed.). Markham, ON: Pembroke Publishers.</ref>।
প্রাচীন গ্রিসের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ হলো সক্রেটীয় পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে দুটি বা ততোধিক ব্যক্তির মধ্যে যুক্তিপূর্ণ প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমে আলোচনা হয়। এখানে তারা একে অপরের মতবাদ চ্যালেঞ্জ করে <ref name=":2">Cain, R. B. (2007). The Socratic Method: Plato’s Use of Philosophical Drama. A&C Black.</ref>। এমন আলোচনা বাস্তবতা ও মতামতের দ্বৈততার বিষয় উত্থাপন করে। এখানে একটি ‘সঠিক উত্তর’ খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা করা হয়, তবে এই পদ্ধতির মধ্য দিয়েই মতবাদের বিষয়ভিত্তিকতা ফুটে ওঠে <ref name=":2" />।
এই প্রাচীন গ্রিক সংযোগের কারণে সমালোচনামূলক চিন্তনকে সাধারণত একটি পশ্চিমা ধারণা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ ধারণা আরও জোরালো হয় [[w:Bloom's_taxonomy|ব্লুমের শ্রেণিবিন্যাস]] নামক আরেকটি পশ্চিমা কাঠামোর মাধ্যমে। এটি আধুনিক শিক্ষায় সমালোচনামূলক চিন্তনের মূলে বিবেচিত <ref>Harmon, D. A., & Jones, T. S. (2005). Elementary Education: A Reference Handbook. ABC-CLIO.</ref>।
যেহেতু সমালোচনামূলক চিন্তন একটি মানবিক নির্মাণ, তাই এটি কেমন হওয়া উচিত তা ব্যক্তি থেকে ব্যক্তিভেদে ভিন্ন হতে পারে। মুন (১৯৯৭) তার কর্মশালাগুলো থেকে সমালোচনামূলক চিন্তনের ২১টি সাধারণ সংজ্ঞা তুলে ধরেছেন এবং তারপর নিজের ২-পৃষ্ঠার সংজ্ঞা প্রদান করেছেন <ref name=":0" />। একটি মতামত অনুসারে, সমালোচনামূলক চিন্তন এমন একটি দক্ষতার সমষ্টি যা কাউকে যুক্তিযুক্ত সিদ্ধান্ত নিতে এবং এমন প্রেক্ষাপটে সিদ্ধান্ত দিতে সক্ষম করে যেখানে পূর্ব জ্ঞান বিদ্যমান <ref name=":19" />। আরেকটি মত অনুযায়ী, এটি একটি পদ্ধতিগত যুক্তি ও বিশ্লেষণের ব্যবহার। এটি সবসময় প্রমাণভিত্তিক না হলেও যুক্তিনির্ভর ও বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করে <ref>Stanley, T., & Moore, B. (2013). Critical Thinking and Formative Assessments: Increasing the Rigor in Your Classroom. Routledge.</ref>। শেষ পর্যন্ত মুন এর মতে, সমালোচনামূলক চিন্তনের নির্দিষ্ট কোনো সঠিক বা ভুল সংজ্ঞা নেই <ref name=":0" />।
=== বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলে সমালোচনামূলক চিন্তন ===
গবেষকেরা যুক্তি দেন, সমালোচনামূলক চিন্তনের ধারণাটি যদিও পশ্চিমা, গণতান্ত্রিক দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্কিত, তবে এর অর্থ এই নয় যে অন্যান্য অ-পশ্চিমা সংস্কৃতিগুলোর মধ্যে সমালোচনামূলক চিন্তন সংক্রান্ত অনুরূপ কোনো গঠন বা চর্চা নেই <ref name=":4">Jung, I., Nishimura, M., & Sasao, T. (2016). Liberal Arts Education and Colleges in East Asia: Possibilities and Challenges in the Global Age. Springer.</ref>। বরং, “যুক্তি প্রদর্শনের বিভিন্ন পন্থা বা রূপ বিদ্যমান” <ref>Mason, M. (2009). Critical Thinking and Learning. John Wiley & Sons. p. 8.</ref>; যেমন, এশীয় অঞ্চলে বিতর্ক করার পদ্ধতিতে একে অপরের বিরোধী মতামতের মধ্যে সংযোগ খোঁজার চেষ্টা করা হয় যাতে এই মতাদর্শগুলো সহাবস্থান করতে পারে <ref name=":4" />। এটি পূর্বাচলিত মুখরক্ষা মূল্যবোধের কারণে ঘটে <ref name=":02" />। এর বিপরীতে, পশ্চিমা পন্থাগুলোকে প্রায়ই প্রতিযোগিতামূলক হিসেবে দেখা হয়: যেখানে অন্যের মতামত আক্রমণ করে নিজের অবস্থান রক্ষা করা হয়। যদিও এই বিভাজনমূলক সাধারণীকরণ বিদ্যমান, পূর্ব ও পশ্চিমা পন্থার মধ্যে বাস্তবিক দৃষ্টিকোণ থেকে অনেক মিল রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, এশীয় কূটনৈতিক বিতর্কপদ্ধতির ক্ষেত্রে যেমন সমঝোতা এবং আলোচনার প্রয়োজন হয়, তেমনি পশ্চিমা পন্থাগুলোর মধ্যেও এসব উপাদান থাকে কারণ ধারণাগুলো অনেক সময় জটিল হয় এবং অনেকগুলো 'সঠিক' উত্তর থাকতে পারে <ref name=":32" />। অনুরূপভাবে, অন্যান্য সংস্কৃতিগুলো কতটা পশ্চিমা সমালোচনামূলক চিন্তনের ধারণা গ্রহণ করে তা সংস্কৃতিগত মূল্যবোধ দ্বারা নির্ধারিত হয়। উদাহরণস্বরূপ, মুসলিম সংস্কৃতিগুলোতে সমালোচনামূলক চিন্তার মূল্য, নিজের মতামত প্রকাশের উপযুক্ততা সম্পর্কিত দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত <ref>Davies, M., & Barnett, R. (2015). The Palgrave Handbook of Critical Thinking in Higher Education. Springer.</ref>।
=== প্রবণতা ও সমালোচনামূলক চিন্তন ===
অনেকে মনে করেন, কেবলমাত্র সমালোচনামূলক চিন্তনের দক্ষতা থাকাই যথেষ্ট নয়—সমালোচনামূলক চিন্তার জন্য একটি '''[[w:Disposition|প্রবণতা]]''' থাকা প্রয়োজন <ref name=":142" />। এই প্রবণতা বা মানসিক প্রস্তুতি কগনিটিভ স্কিল থেকে ভিন্ন। এটি ব্যাখ্যা করা যায় এমন একটি ক্ষমতা হিসেবে। এখানে কেউ সচেতনভাবে একটি দক্ষতা ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নেয়, কেবল তা প্রয়োগ করার সক্ষমতার বাইরে <ref name=":152" />। সমালোচনামূলক চিন্তার প্রবণতার মধ্যে বুদ্ধিবৃত্তিক কার্যকলাপে প্রকৃত আগ্রহ ও দক্ষতা থাকতে পারে। পারকিন্স প্রমুখ (২০০০) এই ধারণাটি প্রসারিত করে বলেন, সমালোচনামূলক চিন্তার প্রবণতার তিনটি দিক রয়েছে: বুদ্ধিবৃত্তিক আচরণে অংশগ্রহণের একটি প্রবণতা; সুযোগগুলো সম্পর্কে সচেতনতা যেখানে এই আচরণগুলো চর্চা করা যায়; এবং সমালোচনামূলক চিন্তায় অংশগ্রহণের একটি সামগ্রিক সক্ষমতা <ref name=":142" />। হালপের্ন (১৯৯৮) উল্লেখ করেন, এই প্রবণতার মধ্যে কঠিন কাজ চালিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা, উদার মনের মানসিকতা এবং পরিকল্পনার অভ্যাস থাকা উচিত <ref name=":142" />। ক্লিফোর্ড প্রমুখ (২০০৪) পরিচালিত একটি কগনিটিভ স্কিল গবেষণায় দেখা গিয়েছে, সমালোচনামূলক চিন্তার প্রবণতা ভালো সমালোচনামূলক চিন্তাধারার দক্ষতার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত <ref name=":152" />।
নিম্নোক্ত বৈশিষ্ট্যগুলো হলো ব্যক্তির মনোভাব বা ব্যক্তিত্বের গুণাবলি, যেগুলো সমালোচনামূলক চিন্তনের দক্ষতা অর্জনে সহায়ক:
# জিজ্ঞাসু মনোভাব
# পদ্ধতিগত চিন্তা
# বিচারক্ষমতা সম্পন্ন
# সত্যান্বেষী
# বিশ্লেষণধর্মী
# উদারমনা
# যুক্তির উপর আস্থা
[[চিত্র:P_religion_world.svg|alt=ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক বিশ্বাস সমালোচনামূলক চিন্তার প্রবণতাকে প্রভাবিত করে|থাম্ব|ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক বিশ্বাস সমালোচনামূলক চিন্তার প্রবণতাকে প্রভাবিত করে]]
অনেকগুলো বিষয়ই কারও সমালোচনামূলক চিন্তার প্রবণতাকে প্রভাবিত করতে পারে; এর মধ্যে প্রথমটি হলো সংস্কৃতি <ref name=":142" />। সংস্কৃতির অনেক দিকই মানুষের সমালোচনামূলক চিন্তার সক্ষমতাকে প্রভাবিত করতে পারে। যেমন, ধর্ম অনেক সময় এই দক্ষতার বিকাশে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে <ref name=":142" />। অনেক ধর্মই বিশ্বাসের উপর প্রতিষ্ঠিত। এখানে প্রমাণ ছাড়াই অন্ধ বিশ্বাসের প্রয়োজন হয়। সংগঠিত ধর্মের এই বৈশিষ্ট্যটি সমালোচনামূলক চিন্তার মূল ভিত্তির বিরোধিতা করে। কারণ সমালোচনামূলক চিন্তা মূলত যেকোনো দাবির যথার্থতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা মূল্যায়ন করে। এমন পরিবেশে বেড়ে ওঠা একটি শিশুর এই দক্ষতা বিকাশে অন্তরায় হতে পারে। এই ধরনের পরিবেশ ধর্মীয় বিশ্বাস প্রশ্নবিদ্ধ করার প্রবণতা বা ধর্মের গ্রহণযোগ্যতা বিশ্লেষণের মনোভাবকে দমন করতে পারে। আরেকটি সাংস্কৃতিক উপাদান হলো কর্তৃত্ব <ref name=":142" />। একজন শিশু যদি কর্তৃত্ববাদী অভিভাবকত্বে বেড়ে ওঠে, তবে তাদের জীবনের অনেক দিকেই নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে, কিন্তু বিশেষভাবে সমালোচনামূলক চিন্তার ওপর এর প্রভাব বেশি পড়ে। কারণ সেখানে কর্তৃত্বের বিশ্বাসযোগ্যতা প্রশ্ন করা শেখানো হয় না এবং কেউ করলে তাকে শাস্তি দেওয়া হয়। এই একই বিষয় শ্রেণিকক্ষেও প্রযোজ্য <ref name=":142" />। শ্রেণিকক্ষের এমন পরিবেশ। এখানে শিক্ষকেরা মুক্ত আলোচনার পরিবেশ তৈরি করেন না বা শিক্ষার্থীদের শেখানো বিষয়ে প্রশ্ন তুলতে দেন না, তা সমালোচনামূলক চিন্তার বিকাশে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। যেখানে প্রশ্ন করা নিরুৎসাহিত করা হয় বা বাড়িতে অভিভাবকীয় কর্তৃত্ব খুব বেশি, সেসব পরিবেশ শিক্ষার্থীদের চিন্তার স্বাধীনতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। উপরন্তু, এসব শিক্ষার্থী হয়তো আজীবন এমন পরিবেশে অভ্যস্ত হয়ে ওঠে <ref name=":142" />। তবে, এই সাংস্কৃতিক সীমাবদ্ধতাগুলো সত্ত্বেও, ঘর ও শ্রেণিকক্ষে সমালোচনামূলক চিন্তার প্রবণতা গড়ে তোলার উপায় রয়েছে।
শ্রেণিকক্ষের গঠনই এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায়। এর মাধ্যমে এই প্রবণতাগুলোকে উৎসাহিত করা যায়। এমন শ্রেণিকক্ষের কাঠামো তৈরি করা। এখানে শিক্ষার্থীরা কী পড়বে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে পারে, তা সমালোচনামূলক চিন্তা প্রবণতা গঠনে সহায়ক হতে পারে <ref name=":142" />। এ ধরনের কাঠামো শিক্ষার্থীদের শেখার বিষয়ের প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি করে এবং সেই সঙ্গে এমন একটি শ্রেণিকক্ষের পরিবেশ তৈরি করে যেখানে শিক্ষার্থীরা শিক্ষক এবং সহপাঠীদের মতামত ও বিশ্বাস সম্পর্কে প্রশ্ন তুলতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে। শিক্ষার্থীদের দেওয়া তথ্য বিশ্লেষণ ও মূল্যায়নের স্বাধীনতা দেওয়া, এমন একটি শ্রেণিকক্ষের পরিবেশ তৈরি করে যেখানে সমালোচনামূলক চিন্তা প্রবণতা বিকাশ সম্ভব। এই স্বাধীনতা শিক্ষার্থীদের বৃহত্তর শ্রেণিকক্ষ কাঠামোর ভেতরেও স্বতন্ত্র ব্যক্তি হিসেবে গড়ে ওঠার সুযোগ দেয় এবং তাদের নিজের সিদ্ধান্ত নিজেরাই নেওয়ার ক্ষমতা অর্জনের পথ করে দেয়। শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের ক্ষমতা ভাগ করে দেওয়া তাদের উদ্দীপনা ধরে রাখা ও বিশ্লেষণধর্মী মনোভাব গড়ে তোলার ক্ষেত্রে অত্যন্ত কার্যকর হতে পারে <ref name=":142" />। শিক্ষকরা শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের স্বতন্ত্রতা গঠনের জন্য বিভিন্ন কৌশল ব্যবহার করতে পারেন। শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন ভূমিকা পালন করতে দেওয়া যেতে পারে, যেমন পূর্বানুমান করা বা সমস্যা বিশ্লেষণ করা <ref name=":142" />। শিক্ষার্থীদের সামনে উপস্থাপিত সমস্যাগুলোতে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করতে দেওয়া, কেবল পাঠ্যপুস্তক বা শিক্ষকের মতামত শেখানো নয়, বরং নিজের মত গঠনের জন্য শিক্ষার্থীদের স্বাধীনতা দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। এর পাশাপাশি, বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করা ও বিশ্লেষণ করাও সমালোচনামূলক চিন্তা প্রবণতা গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এতে শিক্ষার্থীরা নিজেরাই তথ্য খুঁজে বের করে, বিশ্লেষণ করে এবং নিজস্ব সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারে <ref name=":142" />। এইভাবে শিক্ষার্থীরা তাদের পূর্বানুমান ও গবেষণার ফলাফল বিশ্লেষণ করে সেই ধারণাগুলোর যথার্থতা মূল্যায়ন করতে পারে <ref name=":142" />।
=== আত্ম-নিয়ন্ত্রণ ও সমালোচনামূলক চিন্তন ===
শিক্ষকদের উচিত, সমালোচনামূলক চিন্তা শেখানোর পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের '''[[w:আত্ম-নিয়ন্ত্রণ|আত্ম-নিয়ন্ত্রণ]]''' বজায় রাখার দিকেও নজর দেওয়া। নতুন কোনো দক্ষতা শেখার সময় শিক্ষার্থীদের তাদের শেখার প্রতি মোটিভেশন বজায় রাখতে এবং আত্মপ্রণোদিত মনোভাব রাখার প্রয়োজন হয়। ফ্যান (২০১০)-এর একটি প্রবন্ধে বলা হয়েছে। এরা আত্ম-নিয়ন্ত্রিত শিক্ষার্থী, তারা লক্ষ্যের প্রতি বেশি মনোযোগী হয়, নিজেদের শেখার জন্য আরও বেশি দায়িত্বশীল হয়, তাদের মোটিভেশন বজায় থাকে, এবং তারা কগনিটিভভাবে আরও নমনীয় হয়। এর ফলে তারা সমালোচনামূলক চিন্তা চর্চায় আগ্রহী হয়। যেহেতু সমালোচনামূলক চিন্তন দক্ষতা অত্যন্ত প্রতিফলনমুখী, তাই তা আত্ম-নিয়ন্ত্রিত শিক্ষায় সহায়তা করে এবং বিপরীতভাবে আত্ম-নিয়ন্ত্রণমূলক কৌশলগুলো সমালোচনামূলক চিন্তন দক্ষতা গঠনে সহায়তা করে <ref name=":132" />।
[[চিন্তন ও নির্দেশনা/সমস্যা সমাধান, সমালোচনামূলক চিন্তন ও যুক্তি#আত্ম-নিয়ন্ত্রণ|আত্ম-নিয়ন্ত্রণ]] শিক্ষার্থীদের সক্রিয়ভাবে শেখার জন্য প্রয়োজনীয় মৌলিক মেটা-কগনিটিভ সচেতনতা দেয়। এই সচেতনতা শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন, প্রতিফলন এবং যুক্তিসিদ্ধ সিদ্ধান্ত নেওয়ার মতো সমালোচনামূলক চিন্তা প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণে সহায়তা করে। নিজের চিন্তাভাবনা মূল্যায়নের মেটা-কগনিটিভ ক্ষমতার মাধ্যমে, একজন শিক্ষার্থী শেখার ক্ষেত্রে আত্মনির্ভরশীল হয়ে উঠতে পারে <ref name=":132" />। প্রতিটি কাজে একজন তত্ত্বাবধায়ক থাকা না লাগলেও শিক্ষার্থী নিজেই নিজের অগ্রগতি মূল্যায়ন করে নিজস্ব গতিতে এগিয়ে যেতে পারে, এটাই SRL-এর মূলনীতি। এই প্রক্রিয়ার অংশ হলো একজন শিক্ষার্থীর নিজস্ব কৌশল নিয়ে নিয়মিতভাবে প্রতিফলন করা। এই প্রতিফলন সমালোচনামূলক চিন্তার মাধ্যমে শিক্ষার্থীর শেখার পদ্ধতি অনুযায়ী উপযুক্ত কৌশল বেছে নিতে সাহায্য করে।
সমালোচনামূলক চিন্তার জটিল প্রকৃতি ইঙ্গিত করে এটি একটি দীর্ঘমেয়াদী বিকাশ প্রক্রিয়া। এখানে দিকনির্দেশনা, চর্চা ও পুনরাবৃত্তি প্রয়োজন। এই প্রক্রিয়াকে সহজ করতে, আত্ম-পর্যবেক্ষণ আত্ম-নিয়ন্ত্রণের প্রাথমিক ধাপ হিসেবে কাজ করে। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা তাদের নিজের শিক্ষা অর্জনের প্রতিফলন শুরু করতে পারে। এই মূল্যায়ন অ্যাকাডেমিক সক্ষমতা সম্পর্কে মোটিভেশনাল বিশ্বাস সৃষ্টি করে আত্ম-দক্ষতা বৃদ্ধি করে <ref name=":132" />। এরপর চর্চার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা তাদের সমালোচনামূলক চিন্তন দক্ষতাকে নিজেদের পরিধি ছাড়িয়ে শিক্ষাগত প্রেক্ষাপটে প্রসারিত করতে পারে। নিয়মিত চর্চার মাধ্যমে, শিক্ষার্থীরা তাদের মেটা-কগনিটিভ কৌশলকে দীর্ঘমেয়াদী সমালোচনামূলক চিন্তন দক্ষতা গঠনের ভিত্তি হিসেবে ব্যবহার করতে পারে।
== সমালোচনামূলক চিন্তনের কৌশলসমূহ ==
[[চিত্র:Studysuccessweb.jpg|থাম্ব|ধারণাচিত্র]]
মনোবিজ্ঞানী ও শিক্ষাবিদেরা সমালোচনামূলক চিন্তার বিকাশের জন্য বহু কৌশল আবিষ্কার করেছেন। এই কৌশলগুলোর মধ্যে কিছু খুব পরিচিত, যেমন [[w:ধারণাচিত্র|ধারণাচিত্র]] বা [[w:Venn_diagram|ভেন চিত্র]], আবার কিছু কম পরিচিত যেমন, "আপিল-কোয়েশ্চন স্টিমুলাস স্ট্র্যাটেজি" <ref name=":17">Cibáková, D. (2015). Methods of developing critical thinking when working with educative texts. E-Pedagogium, (2), 135-145.</ref>। ধারণাচিত্র মানচিত্র ধারণা ও বিষয়বস্তুর পারস্পরিক সম্পর্ক চিত্রিত করতে সহায়ক, এবং ভেন চিত্র সাধারণত পরস্পরবিরোধী ধারণা উপস্থাপনের জন্য ব্যবহৃত হয় <ref name=":17" />।
=== ভেন চিত্র ===
[[চিত্র:Venn-and.svg|alt=ভেন ডায়াগ্রাম|থাম্ব|ভেন চিত্র]]
উচ্চ বিদ্যালয় ৭ম শ্রেণি থেকেই গণিতে সেট অধ্যায়ে ভেন চিত্র প্রায়ই ব্যবহৃত হয়। অন্য পর্যায়েও তুলনামূলক বিশ্লেষণের জন্য এটি ব্যবহৃত হয়। উদাহরণস্বরূপ, বিজ্ঞান ক্লাসে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন গাছ বা প্রাণীর তুলনা ও বিপরীত বৈশিষ্ট্য উপস্থাপনার জন্য ভেন চিত্র তৈরি করতে বলা যেতে পারে। ধারণাচিত্র মানচিত্র প্রাথমিক পর্যায়ে পরিচয় করিয়ে দেওয়া গেলেও তা মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা পর্যায়ে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়। এই ধরনের মানচিত্র শিক্ষার্থীদের পাঠ্যবিষয়ের সঙ্গে যুক্ত থাকতে উৎসাহিত করার একটি সক্রিয় ও বহুমাত্রিক পন্থা।
একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো কনসেপ্ট ম্যাপিং শিক্ষার্থীদের পূর্বে শেখা তথ্য নিয়ে চিন্তা করতে এবং সংযোগ তৈরি করতে উদ্বুদ্ধ করে। প্রাথমিক শ্রেণিগুলোতে, কনসেপ্ট ম্যাপ প্রকল্প হিসেবে উপস্থাপন করা যেতে পারে, আর পরবর্তীতে, যেমন কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে, শিক্ষার্থীরা এটি একটি অধ্যয়ন কৌশল হিসেবে ব্যবহার করতে পারে। প্রাথমিক স্তরে, শিক্ষার্থীরা তাদের পড়া গল্পে চরিত্র, স্থান বা কাহিনির মধ্যে সংযোগ স্থাপনে কনসেপ্ট ম্যাপ ব্যবহার করতে পারে। যখন কনসেপ্ট ম্যাপ পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়, তখন শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের একটি শব্দ বা বাক্যাংশের তালিকা দিতে পারেন এবং শিক্ষার্থীদের নির্দেশ দেন এগুলোর মধ্যে সংযোগ কনসেপ্ট ম্যাপের আকারে চিত্রিত করতে। প্রশ্ন করা একটি সহজ এবং আকর্ষণীয় উপায় হতে পারে সমালোচনামূলক চিন্তার বিকাশের জন্য। শিক্ষকরা উপকরণ নিয়ে শিক্ষার্থীদের প্রশ্ন করে শুরু করতে পারেন এবং তারপর শিক্ষার্থীদের নিজেদের প্রশ্ন তৈরি করতে উৎসাহিত করতে পারেন। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষায়, শিক্ষার্থীরা কোনো উৎসের বিশ্বাসযোগ্যতা যাচাইয়ের জন্য প্রশ্ন ব্যবহার করতে পারে। প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যায়ে, প্রশ্ন ব্যবহার করা যেতে পারে শিক্ষার্থীদের উপকরণ বোঝার ক্ষমতা মূল্যায়নে, এবং একই সঙ্গে তাদের সমালোচনামূলক চিন্তায় উৎসাহিত করতে, যেমন গল্পের চরিত্রদের কার্যকলাপ নিয়ে প্রশ্ন তোলা বা কোনো পরীক্ষার গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে চিন্তা করা। ‘অ্যাপিল-কোয়েশ্চেন স্টিমুলি’। এর প্রবর্তক স্বোবোডোভা, এই পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীরা তাদের পড়া বোঝাপড়া সম্পর্কে প্রশ্ন তোলে <ref name=":172" />।
=== আলোচনা ===
শিক্ষার্থীদের সমালোচনামূলক চিন্তন দক্ষতা বিকাশে আলোচনা একটি বিশেষভাবে কার্যকর কৌশল হতে পারে শিক্ষকদের জন্য। সহপাঠীদের সঙ্গে মিথস্ক্রিয়া কিছু নির্দিষ্ট সমালোচনামূলক চিন্তন দক্ষতা গঠনের ভিত্তি তৈরি করে, যেমন ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ এবং সহযোগিতা। এটি হয়তো সরাসরি শেখানোর মাধ্যমে সহজে শেখানো যায় না। আলোচনার একটি বড় অংশ অবশ্যই ভাষা। ক্লুস্টার (২০০২) বলেছেন, সমালোচনামূলক চিন্তা শুরু হয় প্রশ্ন তোলার মাধ্যমে <ref name=":172" />। অনুরূপভাবে, ভিগোৎসকি উল্লেখ করেছেন যে ভাষাগত দক্ষতা উচ্চস্তরের চিন্তাধারার জন্য অপরিহার্য পূর্বশর্ত হতে পারে <ref name=":162" />। যখন শিশুদের শব্দভাণ্ডার বড় হয়, তখন তারা পাঠ্যবস্তুকে আরও ভালোভাবে বুঝতে পারে এবং তারপরে সে উপকরণ নিয়ে বিমূর্তভাবে চিন্তা করতে পারে এবং সহপাঠীদের সঙ্গে তা নিয়ে চিন্তাশীল আলোচনা করতে পারে <ref name=":162" />।
গবেষণায় দেখা গিয়েছে,, বিভিন্ন বয়সের সহপাঠীদের মধ্যে আলোচনা সমালোচনামূলক চিন্তার বিকাশে বিশেষভাবে সহায়ক হতে পারে। এই ধরনের গ্রুপগুলো কার্যকর হতে পারে কারণ শিশুদের মধ্যে বিভিন্ন বয়সের সহপাঠীদের সঙ্গে কাজ করার সময় সাধারণত বেশি অনুপ্রেরণা দেখা যায় <ref name=":162" />। ছোটরা বড়দের একজন মেন্টর এবং জ্ঞানের উৎস হিসেবে দেখে, আর বড়রা একটি পরিপক্বতা এবং দায়িত্ববোধ অনুভব করে তাদের জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা ছোটদের সঙ্গে ভাগাভাগি করার <ref name=":162" />। এই ধরনের আলোচনায় শিক্ষার্থীরা এমন ভাষা ব্যবহার করার চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয় যা অন্যদের বোধগম্য হয় <ref name=":162" />। একটি প্রচলিত উদাহরণ হলো কানাডীয় বিদ্যালয়গুলোর “বড় বন্ধু” প্রোগ্রাম। এখানে উচ্চ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নিম্ন শ্রেণির একজন শিক্ষার্থীকে বছরের জন্য সহায়তা করার জন্য নিযুক্ত করা হয়। বড় বন্ধুরা ছোট বন্ধুদের প্রকল্প, পরামর্শ বা স্কুল ইভেন্টে সাহায্য করতে পারে। এই প্রোগ্রামগুলো কার্যকর কারণ ছোটরা তাদের বড় বন্ধুদের অনুসরণ করে এবং বড়রা তাদের ছোটদের সহায়তা করতে একটি দায়িত্ববোধ অনুভব করে। হ্যাটি (২০০৬) বলেছেন, এই আলোচনা অবশ্যই একজন শিক্ষকের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত অত্যন্ত সংগঠিত কার্যক্রম হওয়া উচিত। এটিতে শিক্ষার্থীরা তাদের দায়িত্ব সম্পর্কে স্পষ্ট থাকে <ref name=":162" />।
==== শ্রেণিকক্ষের পরিবেশ ====
একটি শ্রেণিকক্ষ যেখানে শিক্ষার্থীরা প্রশ্ন করতে এবং তাদের ধারণা ভাগ করতে নিরাপদ বোধ করে, তা সমালোচনামূলক চিন্তাকে উৎসাহিত করার জন্য অত্যন্ত মূল্যবান। গবেষণায় দেখা গেছে, যখন শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষের সংগঠন ও কার্যক্রম পরিকল্পনায় অংশগ্রহণ করতে পারে, তখন তারা সমালোচনামূলক চিন্তার প্রতি বেশি ঝোঁক দেখায় <ref name=":143" />। এমন শ্রেণিকক্ষে শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষের কার্যপদ্ধতি নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় সক্রিয়ভাবে অন্তর্ভুক্ত করতে উৎসাহিত করেন <ref name=":143" />। একই সঙ্গে, শিক্ষকদের উচিত কাঙ্ক্ষিত ধরণের সমালোচনামূলক চিন্তন নিজেরাই প্রদর্শন করা, যেমন নিজের সিদ্ধান্ত বা কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত নিয়ে সম্মানজনক ও যথাযথভাবে প্রশ্ন তোলা <ref name=":143" />। গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব শ্রেণিকক্ষে শিক্ষকরা উৎসাহী এবং প্রতিক্রিয়াশীল, সেখানে শিক্ষার্থীদের জ্ঞানগত সম্পৃক্ততা তুলনামূলকভাবে বেশি <ref>Garcia, T., & Pintrich, P. R. (1992). Critical Thinking and Its Relationship to Motivation, Learning Strategies, and Classroom Experience. 2-30.</ref>। তাই, শিক্ষকদের উচিত উৎসাহব্যঞ্জক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক হওয়া এবং সম্ভব হলে শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষ পরিকল্পনায় অংশগ্রহণ করতে দেওয়া।
=== সমালোচনামূলক প্রশ্ন ===
গবেষণা ক্রমেই সমর্থন করছে যে সমালোচনামূলক চিন্তা সরাসরি শেখানো সম্ভব <ref name=":7">Halpern, D. F. (2013). Thought and Knowledge: An Introduction to Critical Thinking. Psychology Press.</ref>। শিক্ষায় সমালোচনামূলক প্রশ্নের ব্যবহার বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই প্রশ্নগুলো শেখানোর মাধ্যমে শিক্ষকরা সমালোচনামূলক চিন্তার প্রক্রিয়া দৃশ্যমানভাবে মডেল করেন। শিক্ষায় সমালোচনামূলক চিন্তা শেখানোর অন্যতম সমস্যা হলো শিক্ষার্থীরা কেবল শিক্ষকের সিদ্ধান্ত দেখে, অর্থাৎ তারা দেখতে পায় না যে কীভাবে শিক্ষক এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন <ref name=":182" />। একজন অভিজ্ঞ চিন্তাবিদ অবশ্য প্রশ্ন করে, কিন্তু এই প্রশ্নগুলো সাধারণত মুখে উচ্চারণ করা হয় না। কিন্তু শিক্ষার্থীরা যদি সমালোচনামূলক প্রশ্ন ও চিন্তার কৌশল শিখতে চায়, তাহলে তাদের সেই চিন্তার প্রক্রিয়া দেখতে হবে। প্রশ্ন তৈরির ও তার ধারাবাহিকতা দেখিয়ে চিন্তার ধারাটি বোঝানো সম্ভব।
সমালোচনামূলক প্রশ্ন শেখানোর বিভিন্ন পদ্ধতি আছে। নিচে আলোচিত কাঠামোগুলো সবচেয়ে সুপরিচিত। প্রতিটি কাঠামোর নিজস্ব শক্তি ও দুর্বলতা রয়েছে ব্যবহারযোগ্যতা, জটিলতা এবং সার্বজনীনতার দিক থেকে। প্রতিটি পদ্ধতি সমালোচনামূলক চিন্তাকে আলাদা সংজ্ঞায় সংজ্ঞায়িত করে। ফলে একজন ব্যক্তির সমালোচনামূলক চিন্তার সংজ্ঞা তার নির্দিষ্ট কাঠামোর প্রতি গ্রহণযোগ্যতাকে প্রভাবিত করতে পারে।
[[চিত্র:Sócrates.jpeg|alt= Socrates|থাম্ব|Socrates]]
==== সক্রেটীয় পদ্ধতি ====
পশ্চিমা দৃষ্টিভঙ্গিতে সমালোচনামূলক চিন্তার একটি মূল বৈশিষ্ট্য হলো সমালোচনামূলক প্রশ্নের গুরুত্ব। এটি প্রাচীন গ্রিক সক্রেটীয় পদ্ধতির সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হোক বা নতুন প্রশ্ন তৈরি করা হোক—সমালোচনামূলক চিন্তা সব সময় প্রশ্নের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত, তা স্পষ্ট বা অদৃশ্য, সচেতন বা অসচেতন <ref name=":62" />। ব্রাউন ও কিলি (২০০৬) তাদের সমালোচনামূলক চিন্তার সংজ্ঞা সম্পূর্ণরূপে প্রশ্নের অন্তর্ভুক্তির উপর ভিত্তি করে গড়ে তুলেছেন <ref>Browne, M. N., & Keeley, S. M. (2006). Asking the Right Questions: A Guide to Critical Thinking (8th ed.). Upper Saddle River, N.J: Prentice Hall.</ref>।
সমালোচনামূলক প্রশ্নের উত্তর সব সময় পরীক্ষণযোগ্য নয়। এগুলো যুক্তিপূর্ণ হতে পারে, কিন্তু তারপরও বিকল্প মতামতের অধীন, ফলে সব মতই একযোগে ব্যক্তিগত ও বাস্তবিক হতে পারে। এল্ডার ও পল (২০০৯) এই প্রশ্নগুলোকে তিনটি শ্রেণিতে ভাগ করেছেন <ref name=":52" />:
# এমন প্রশ্ন যেগুলোর সঠিক উত্তর আছে এবং তা জ্ঞান দিয়ে নির্ধারণ করা যায়
# এমন প্রশ্ন যেগুলোর উত্তর ব্যক্তিনির্ভর এবং বিচার করা যায় না
# এমন প্রশ্ন যেগুলো যৌক্তিক এবং প্রমাণভিত্তিক যুক্তি দিয়ে বিচার করা যায়
সমালোচনামূলক প্রশ্ন সম্পর্কিত বইগুলো মূলত সক্রেটীয় পদ্ধতিতে প্রভাবিত এবং ‘ভালো’ ও ‘খারাপ’ প্রশ্নের মধ্যে পার্থক্য করে। ভালো প্রশ্ন হলো যেগুলো প্রাসঙ্গিক এবং যুক্তিনিষ্ঠ, আর খারাপ প্রশ্ন হলো অপ্রাসঙ্গিক, অগভীর এবং এলোমেলোভাবে সাজানো <ref name=":33" /><ref name=":62" />। এল্ডার ও পল (২০০৯) বলেন, “একজন ভালো চিন্তাবিদ এবং খারাপ প্রশ্নকারী একই ব্যক্তি হতে পারে না।”<ref>Elder, L., & Paul, R. (2009). The Art of Asking Essential Questions (5th Edition). Dillon Beach, CA: Foundation for Critical Thinking. p. 3.</ref> অর্থাৎ, কেউ যদি প্রাসঙ্গিক ও যৌক্তিক প্রশ্ন তৈরি করতে না পারে, তবে সে যুক্তিসংগত সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারবে না।
উপরন্তু, শুধুমাত্র সঠিক প্রশ্ন করাই যথেষ্ট নয়। সমালোচনামূলক চিন্তার সঙ্গে জ্ঞানের একটি সরাসরি সম্পর্ক আছে <ref name=":7" />। কেউ হয়তো জ্ঞান রাখে, কিন্তু তা প্রয়োগ করতে জানে না। আবার কেউ প্রশ্ন করতে দক্ষ, কিন্তু সেই উত্তরের গুণমান বিচার করার জন্য প্রয়োজনীয় জ্ঞান নেই।
সক্রেটীয় পদ্ধতিতে সমালোচনামূলক প্রশ্ন শেখানোর ক্ষেত্রে বোঝা গুরুত্বপূর্ণ যে, এখানে কোনো নির্দিষ্ট প্রশ্নের সেট নেই। কারণ প্রয়োজনীয় প্রশ্নগুলো নির্ভর করে প্রাসঙ্গিক প্রেক্ষাপটের উপর। তাই বিভিন্ন লেখক যেসব উদাহরণ দেন, তা একে অপরের থেকে যথেষ্ট আলাদা। তবু কিছু সাধারণ নির্দেশনা অনুসরণ করা যায় <ref>Micarelli, A., Stamper, J., & Panourgia, K. (2016). Intelligent Tutoring Systems: 13th International Conference, ITS 2016, Zagreb, Croatia, June 7-10, 2016. Proceedings. Springer.</ref>:
# পরিস্থিতি, বিষয়বস্তু, মতামত এবং সিদ্ধান্ত চিহ্নিত করতে ও বুঝতে প্রশ্ন ব্যবহার করা
# অনুমান, অস্পষ্টতা, দ্বন্দ্ব, বা বিভ্রান্তি খুঁজে বের করতে প্রশ্ন করা
# ধারণাগুলোর প্রভাব মূল্যায়নে প্রশ্ন ব্যবহার করা
সক্রেটীয় পদ্ধতির প্রথম অংশ হলো তথ্য সংগ্রহ। এখানে প্রশ্ন করে গুরুত্বপূর্ণ বিশদ জানা যায়, ধারণা স্পষ্ট হয়, এবং উদ্দেশ্য নির্ধারণ করা যায়। দ্বিতীয় অংশে প্রথম অংশের তথ্য ব্যবহার করে ধারণার যথার্থতা যাচাইয়ের জন্য গভীর বিশ্লেষণ করা হয়। তৃতীয় অংশে প্রশ্নের মাধ্যমে ধারণাগুলোর ফলাফল নিয়ে চিন্তা করা হয়।
কনকলিন (২০১২) এই তিন অংশকে ছয় ভাগে ভাগ করেছেন <ref name=":8">Conklin, W., & Teacher Created Materials. (2012). Strategies for Developing Higher-Order Thinking Skills, Grades 6 - 12. Shell Education.</ref>:
# বোঝার জন্য প্রশ্ন করা
# অনুমান নির্ধারণের জন্য প্রশ্ন করা
# কারণ / প্রমাণ খুঁজে বের করার জন্য প্রশ্ন করা
# দৃষ্টিভঙ্গি নির্ধারণের জন্য প্রশ্ন করা
# ফলাফল নির্ধারণে প্রশ্ন করা
# প্রদত্ত প্রশ্নটির মূল্যায়নে প্রশ্ন করা
প্রতিটি অংশের জন্য কিছু নমুনা প্রশ্ন এখানে দেওয়া হলো:<ref><nowiki>http://www.janinesmusicroom.com/socratic-questioning-part-i-the-framework.html</nowiki></ref>
বোঝার জন্য প্রশ্নসমূহ:
* আপনি তা কেন ভাবছেন?
* আপনি এই বিষয়ে এতদূর কী পড়েছেন?
* এটি আপনি এখন যা পড়ছেন তার সাথে কীভাবে সম্পর্কিত?
ধারণা নির্ধারণকারী প্রশ্নসমূহ:
* আপনি কীভাবে এই ধারণাটি যাচাই করতে পারেন?
* আর কী ধরা যেতে পারে?
* এ বিষয়ে আপনার মত কী? আপনি কি একমত, না কি অসম্মত?
কারণ / প্রমাণ আবিষ্কারের প্রশ্নসমূহ:
* আপনি কীভাবে নিশ্চিত হতে পারেন?
* এটা কেন ঘটছে?
* আপনার মতকে সমর্থন করার জন্য আপনার কাছে কী প্রমাণ আছে?
দৃষ্টিভঙ্গি নির্ধারণকারী প্রশ্নসমূহ:
* আপনি এই যুক্তিটিকে আরেকভাবে কীভাবে দেখতে পারেন?
* কোন দৃষ্টিভঙ্গিটি ভালো?
পরিণতি নির্ধারণকারী প্রশ্নসমূহ:
* এটি আপনার উপর কী প্রভাব ফেলে?
* এর কী প্রভাব রয়েছে?
কোন প্রশ্ন মূল্যায়নের জন্য প্রশ্নসমূহ:
* আমাকে এই প্রশ্নটি কেন জিজ্ঞাসা করা হয়েছে?
* কোন প্রশ্নগুলো সবচেয়ে আকর্ষণীয় উত্তর দিয়েছে?
* আর কী প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা উচিত?
লেখার ওপর নির্ভর করে, সক্রেটিক পদ্ধতি অত্যন্ত জটিল হতে পারে। এটি শিক্ষকদের জন্য এটি প্রয়োগ করাকে চ্যালেঞ্জিং করে তোলে। কনক্লিন (২০১২) বলেন, একজন শিক্ষককে এই ধরনের প্রশ্ন আগেই পরিকল্পনা করতে হবে, পাঠ চলাকালীন তাৎক্ষণিকভাবে তৈরি করার উপর নির্ভর না করে <ref name=":82" />।
[[চিত্র:Blooms_rose.svg|alt= Bloom's Taxonomy|থাম্ব|Bloom's Taxonomy]]
==== ব্লুম’স ট্যাক্সোনমি ====
ব্লুম’স ট্যাক্সোনমি প্রথম তৈরি হয় ১৯৫৬ সালে, শিক্ষার্থীদের উচ্চস্তরের চিন্তাভাবনা মূল্যায়নের জন্য এবং জ্ঞানমূলক শিক্ষাগত লক্ষ্য নির্ধারণের উদ্দেশ্যে <ref>Bloom, B. S., Krathwohl, D. R., & Masia, B. B. (1984). Taxonomy of educational objectives: the classification of educational goals. Longman.</ref>। পরবর্তীতে এটি রূপান্তরিত হয়ে সমালোচনামূলক চিন্তনের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য একটি কার্যকরী সরঞ্জাম হয়ে ওঠে, বিশেষ করে সমালোচনামূলক প্রশ্নের মাধ্যমে <ref>Blosser, P. E. (1991). How to Ask the Right Questions. NSTA Press.</ref>। এই সমালোচনামূলক প্রশ্নগুলো ব্লুম’স শ্রেণিবিন্যাসের বোঝা, প্রয়োগ, বিশ্লেষণ, সংকলন এবং মূল্যায়ন পর্যায়ের সাথে সম্পর্কিত। এই শ্রেণিগুলো সক্রেটিক পদ্ধতির সাথে মিল খুঁজে পাওয়া যায়, যেমন বোঝা, বিশ্লেষণ এবং মূল্যায়নের জন্য প্রশ্ন করার গুরুত্ব। মুন (২০০৭) মনে করেন, “মূল্যায়ন”, “প্রতিফলন” এবং “বোঝা” সমালোচনামূলক চিন্তনের মূল উপাদান <ref name=":03" />। এটি সমালোচনামূলক চিন্তার ধারণায় অবশ্যই অন্তর্ভুক্ত হওয়া উচিত। একই সময়ে, ব্লুম’স ট্যাক্সোনমি একটি স্বাভাবিক প্রশ্নমালা তৈরি করে যা বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে মানিয়ে নেওয়া যায় <ref>Wang, J.-F., & Lau, R. (2013). Advances in Web-Based Learning -- ICWL 2013: 12th International Conference, Kenting, Taiwan, October 6-9, 2013, Proceedings. Springer.</ref>।
একটি উদাহরণ হিসেবে, একজন শিক্ষক নিউইয়র্কের একটি স্পিকইজি বারের ছবি ব্যবহার করেন। ব্লুম’স ট্যাক্সোনমি ব্যবহার করে শিক্ষক নিম্নলিখিত সমালোচনামূলক প্রশ্নগুলো করতে পারেন এবং তার মডেল দিতে পারেন <ref name=":34" />:
# জ্ঞান: আপনি ছবিতে কী দেখছেন?
# অনুধাবন: এই ধরনের জায়গায় মানুষ কী করে?
# বিশ্লেষণ: ছবিতে এত পুলিশ কেন আছে?
# প্রয়োগ: বর্তমানে আমরা এ ধরনের কোন পরিস্থিতি দেখতে পাই?
# সংকলন: যদি এমন আচরণ নিষিদ্ধকারী কোনো আইন না থাকতো?
# মূল্যায়ন: আপনি যদি এই লোকগুলোর একজন হতেন, তাহলে কেমন অনুভব করতেন? কেন?
[[চিত্র:Depth_of_Knowledge.png|alt=Norman Webb's Depth of Knowledge|থাম্ব|Norman Webb's Depth of Knowledge]]
==== নরম্যান ওয়েবের জ্ঞানের গভীরতা (ডিওকে) ====
ওয়েবের জ্ঞানের গভীরতা (ডিওকে) ট্যাক্সোনমি তৈরি হয় ২০০২ সালে ব্লুম’স ট্যাক্সোনমির প্রতিক্রিয়া হিসেবে <ref name=":9">Gregory, G., & Kaufeldt, M. (2015). The Motivated Brain: Improving Student Attention, Engagement, and Perseverance. ASCD.</ref>। ব্লুম’স ট্যাক্সোনমির সাথে এর বিপরীতে, ওয়েবের ডিওকে চিন্তাভাবনাকে মূল্যায়ন করে তার জটিলতার দিক থেকে, কেবলমাত্র কষ্টসাধ্যতার ভিত্তিতে নয় <ref name=":9" />।
ওয়েবের ডিওকের চারটি স্তর:
# স্মরণ ও পুনরুৎপাদন
# দক্ষতা ও ধারণার সাথে কাজ করা
# স্বল্পমেয়াদী কৌশলগত চিন্তাভাবনা
# বিস্তৃত কৌশলগত চিন্তাভাবনা
স্তর ১ ব্লুম’স ট্যাক্সোনমির তথ্য মনে রাখা এবং পুনরায় স্মরণ করার স্তরের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ। এই স্তরের সমালোচনামূলক প্রশ্ন হতে পারে:
* মূল চরিত্রের নাম কী?
* অলিভার টুইস্ট ফ্যাজিনকে কী জিজ্ঞাসা করেছিল?
স্তর ২-এ বিভিন্ন দক্ষতা অন্তর্ভুক্ত যেমন শ্রেণিবিন্যাস, তুলনা, পূর্বাভাস, তথ্য সংগ্রহ ও উপস্থাপন। এসব দক্ষতা থেকে নিচের প্রশ্নগুলো আসতে পারে:
* এই দুটি ধারণার মধ্যে কী মিল-অমিল?
* আপনি কীভাবে এই বস্তুগুলো শ্রেণিবিন্যাস করবেন?
* আপনি কীভাবে এই পাঠের সারাংশ তৈরি করবেন?
স্তর ৩ বিশ্লেষণ ও মূল্যায়নের সাথে সম্পর্কিত। এটি আবার ব্লুম’স ট্যাক্সোনমির সাথে মিলে যায়।
* আপনি কী সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেন?
* এটি ব্যাখ্যা করতে আপনি কী তত্ত্ব দাঁড় করাতে পারেন?
* সবচেয়ে ভালো উত্তর কোনটি? কেন?
একই সময়ে, ডিওকের স্তর ৩ সক্রেটিক পদ্ধতির সাথে মিল খুঁজে পায় কারণ এখানে ব্যক্তিকে নিজের মত পক্ষে যুক্তি ও প্রমাণ দিয়ে কথা বলতে হয়।
স্তর ৪ হলো সবচেয়ে জটিল এবং চ্যালেঞ্জিং। এটি আন্তঃবিষয়ক সংযোগ তৈরি করা এবং নতুন ধারণা / সমাধান তৈরি করার উপর জোর দেয়।
যেহেতু ডিওকে প্রতিটি স্তরে আরও জটিল হয়ে ওঠে এবং যুক্তি ও প্রমাণ ব্যবহার করে নিজ অবস্থান সমর্থনের প্রয়োজন পড়ে, এটি সক্রেটিক পদ্ধতির সাথে সাদৃশ্য তৈরি করে। একই সাথে, যেহেতু এটি সমালোচনামূলক চিন্তা মূল্যায়নের মান নির্ধারণে ব্যবহৃত হয়, এটি ব্লুম’স ট্যাক্সোনমির সাথে সাদৃশ্যযুক্ত।
==== উইলিয়ামস মডেল ====
[[চিত্র:KWL_Chart.jpg|alt= The KWL method shares some similarities to the 'wonder' aspect of the Williams Model|থাম্ব|The KWL method shares some similarities to the 'wonder' aspeসমালোচনামূলক চিন্তা of the Williams Model]]
উইলিয়ামস মডেলটি ফ্র্যাঙ্ক উইলিয়ামস ১৯৭০-এর দশকে তৈরি করেন <ref name=":82" />। অন্যান্য পদ্ধতির এর বিপরীতে, উইলিয়ামস মডেল তৈরি করা হয়েছিল সৃজনশীল চিন্তাভাবনা উৎসাহিত করার জন্য সমালোচনামূলক প্রশ্ন ব্যবহার করে <ref name=":82" />। এই মডেল নিম্নলিখিত উপাদানগুলো নিয়ে গঠিত:
* সাবলীলতা
* নমনীয়তা
* বিস্তারিততা
* মৌলিকতা
* কৌতূহল
* ঝুঁকি নেওয়া
* জটিলতা
* কল্পনাশক্তি
সাবলীলতা সংক্রান্ত সমালোচনামূলক প্রশ্নগুলো এক ধরনের ব্রেইনস্টর্মিং এর মতো। এখানে প্রশ্নগুলো ধারণা ও বিকল্প উত্পন্ন করার জন্য তৈরি করা হয় <ref name=":82" />। ‘নমনীয়তা’র প্রশ্ন বিদ্যমান ধারণার বিভিন্ন রূপ উত্পন্ন করে। ‘বিস্তার’ প্রশ্ন বিদ্যমান ধারণার উপর নির্মাণ করে এবং বিস্তারিততা বাড়ায়। ‘মৌলিকতা’ প্রশ্ন নতুন ধারণা তৈরির দিকে পরিচালিত করে। কৌতূহল সম্পর্কিত অংশ KWL পদ্ধতির ‘Wonder’ ধাপের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ <ref>Carol, K., & Sandi, Z. (2014). Q Tasks, 2nd Edition: How to empower students to ask questions and care about answers. Pembroke Publishers Limited.</ref>। ‘ঝুঁকি নেওয়া’ প্রশ্ন পরীক্ষামূলক চিন্তা উসকে দেয়। যদিও ‘জটিলতা’ শব্দটি ‘বিস্তার’-এর মতো শোনায়, এটি বিশৃঙ্খলার মধ্যে থেকে ক্রম বের করা, সংযোগ তৈরি করা, এবং তথ্যের ঘাটতি পূরণের বিষয়ে। সর্বশেষ উপাদান হলো ‘কল্পনা’। এটি প্রশ্ন ব্যবহার করে কল্পনাশক্তির মাধ্যমে ভাবতে সহায়তা করে।
[[চিত্র:Wiggins_&_McTighe’s_Six_Facets_of_Understanding_.png|alt=Wiggins & McTighe’s Six Facets of Understanding|থাম্ব|উইগিন্স এবং ম্যাকটাইগের বোঝাপড়ার ছয়টি দিক]]
==== উইগিন্স ও ম্যাকটাই-এর ছয়টি অনুধাবন দিক ====
উইগিন্স ও ম্যাকটাই-এর ‘ছয়টি অনুধাবনের দিক’ সমালোচনামূলক চিন্তার গভীর অনুধাবনের উপর ভিত্তি করে তৈরি <ref name=":10">Doubet, K. J., & Hockett, J. A. (2015). Differentiation in Middle and High School: Strategies to Engage All Learners. ASCD.</ref>। এই পদ্ধতি শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের জন্য প্রশ্ন তৈরি করতে ব্যবহার করেন। এটি সমালোচনামূলক চিন্তনকে উৎসাহ দেয় <ref name=":10" />। এই ছয়টি দিক হলো: ব্যাখ্যা, ব্যাখ্যাত্মকতা, প্রয়োগ, দৃষ্টিভঙ্গি, সহানুভূতি এবং আত্ম-জ্ঞান <ref name=":11"><nowiki>http://www.educ.kent.edu/fundedprojects/tspt/units/sixfacets.htm</nowiki></ref>।
‘ব্যাখ্যা’ দিকটিতে ‘কেন’ এবং ‘কীভাবে’ প্রশ্নগুলো আধিপত্য করে। এটি তত্ত্ব এবং যুক্তি তৈরি করতে সহায়ক <ref name=":12">McTighe, J., & Wiggins, G. (2013). Essential Questions: Opening Doors to Student Understanding (1st ed.). Alexandria, Va. USA: Association for Supervision & Curriculum Development.</ref>:
* এটা কীভাবে ঘটল? আপনি কেন তাই মনে করেন?
* এটি অন্য তত্ত্বের সাথে কীভাবে সংযুক্ত?
ব্যাখ্যাত্মক প্রশ্নগুলো ‘পাঠের ভিতরে’ পড়া, উপমা বা রূপক তৈরি করা এবং ধারণাকে ব্যাখ্যা করার জন্য লিখিত বা চিত্রিত পরিস্থিতি তৈরি করতে সাহায্য করে। উদাহরণস্বরূপ:
* আপনি কীভাবে এই ধারণাটি অন্যভাবে ব্যাখ্যা করবেন?
* আপনি কেন মনে করেন, উভয় পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব আছে?
* এটি জানা কেন গুরুত্বপূর্ণ?
প্রয়োগ সম্পর্কিত প্রশ্নগুলো জ্ঞান প্রয়োগ করার বিষয়ে। এর একটি অংশ পূর্বানুমান নির্ভর করে পূর্ব অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে এবং আরেকটি অংশ অতীত থেকে শেখার বিষয়।
* আমরা কীভাবে এটি আবার ঘটতে দেওয়া থেকে বিরত থাকতে পারি?
* আপনি কী মনে করেন, পরবর্তীতে কী হবে?
* এটি কীভাবে কাজ করে?
দৃষ্টিভঙ্গি প্রশ্নগুলো অন্যের দৃষ্টিভঙ্গি বোঝা এবং তাদের দৃষ্টিভঙ্গির বিশ্লেষণ ও সমালোচনার দিকে মনোনিবেশ করে <ref name=":11" />। উদাহরণস্বরূপ:
* এই বিষয়ে বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি কী কী?
* কবিতায় কে কথা বলছে?
* কার দৃষ্টিভঙ্গি এখানে প্রকাশিত হয়েছে?
* অন্য একজনের দৃষ্টিতে এটি কীভাবে দেখাত?
সহানুভূতিমূলক প্রশ্নগুলো অন্যের অবস্থান অনুধাবনের মাধ্যমে মনের উন্মুক্ততা তৈরি করে, যেন অন্যের জায়গায় নিজেকে কল্পনা করা যায়।
* আপনি যদি একই অবস্থায় থাকতেন, তাহলে কেমন অনুভব করতেন?
* ঐ পরিস্থিতিতে বাস করলে কেমন হতো?
* কেউ যদি আপনার পরিবারের সাথে এটা করত, আপনি কীভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাতেন?
আত্ম-জ্ঞানভিত্তিক প্রশ্নগুলো আত্ম-অনুধাবনের দিকে পরিচালিত করে এবং নিজের পক্ষপাত, মূল্যবোধ এবং পূর্বাগ্রহগুলো চিনতে সাহায্য করে যা অন্যদের বিচার করার সময় প্রভাব ফেলে <ref name=":11" />। উদাহরণস্বরূপ:
* আমার জীবন এই বিষয়ে আমার দৃষ্টিভঙ্গিকে কীভাবে গঠন করেছে?
* আমি আসলে ঐ সম্প্রদায়ের মানুষের জীবনের সম্পর্কে কী জানি?
* আমি কী জ্ঞান বা অভিজ্ঞতার ঘাটতি অনুভব করি?
* আমি যেটা জানি, তা কোথা থেকে এল? সেই তথ্য বা ধারণার উৎস কী?
‘ছয়টি অনুধাবন দিক’-এর মধ্যে থাকা সমস্ত প্রশ্নের বৈশিষ্ট্য নিম্নরূপ <ref name=":12" />:
# সেগুলো উন্মুক্ত
# গভীর চিন্তার প্রয়োজন
# সমালোচনামূলক চিন্তন জরুরি
# জ্ঞান হস্তান্তরকে উৎসাহ দেয়
# এগুলো অনুস্মারক প্রশ্ন তৈরি করে
# এর উত্তর প্রমাণ সহ প্রতিষ্ঠিত হতে হয়
একটি শ্রেণিকক্ষ পরিবেশে সমালোচনামূলক প্রশ্ন প্রয়োগের উদাহরণ দেখতে চাইলে, এই পাতার নিচের বহিঃসংযোগ অংশে দেখুন।
= সমস্যা সমাধান =
প্রতিদিনের জীবনে আমরা নানা সমস্যায় ঘেরা থাকি, যেগুলোর সমাধান আমাদের লক্ষ্য পূরণে গুরুত্বপূর্ণ এবং আমাদের মনোযোগ দাবি করে <ref name=":20">Bruning, G.J. Schraw & M.M. Norby (2011) Cognitive Psychology and Instruction (5th Ed). New York: Pearson.</ref>। আমরা এমন সমস্যার মুখোমুখি হতে পারি যেমন: কর্মস্থলে পৌঁছানোর জন্য সেরা রুট নির্ধারণ করা, ইন্টারভিউয়ের জন্য কী পরা উচিত, একটি যুক্তিভিত্তিক প্রবন্ধে ভালো করা, অথবা একটি দ্বিঘাত সমীকরণের সমাধান খুঁজে বের করা। একটি পরিস্থিতিকে সমস্যা হিসেবে বিবেচনা করা হয় যখন সেই সমস্যার সমাধান চাওয়া হয়, কিন্তু সমাধানটি সমাধানকারী ব্যক্তির কাছে স্পষ্ট নয় <ref>Anderson, J. R. Cognitive Psychology and Its Implications. New York: Freeman, 1980</ref>। '''<u>সমস্যা সমাধান</u>''' হচ্ছে এই সমস্যাগুলোর সমাধান খুঁজে বের করার প্রক্রিয়া <ref name=":21">Mayer, R. E., & Wittrock, R. C. (2006). Problem solving. In P. A. Alexander & P. H. Winne (Eds.), Handbook of educational psychology (2nd ed., pp. 287–304). Mahwah, NJ: Erlbaum.</ref>। '''''যদিও এরা সম্পর্কিত, সমালোচনামূলক চিন্তন মূলত সমস্যা সমাধানের চেয়ে আলাদা। সমালোচনামূলক চিন্তা একটি প্রক্রিয়া যা সমস্যা সমাধানে প্রয়োগ করা যেতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, শিক্ষার্থীরা এমন অনির্দিষ্ট সমস্যার মুখোমুখি হলে সমালোচনামূলক চিন্তায় জড়িয়ে পড়তে পারে যেখানে অনেক বিকল্প বা সম্ভাব্য উত্তর বিবেচনা করতে হয়। মূলত। এরা সমালোচনামূলকভাবে চিন্তা করতে সক্ষম, তারা কার্যকরভাবে সমস্যা সমাধান করতে সক্ষম <ref>Snyder, M. J., & Snyder, L. G. (2008). Teaching critical thinking and Problem solving skills. Delta Pi Epsilon Journal, L(2), 90-99.</ref>।'''''
[[চিত্র:T_vs_PBL.png|থাম্ব|সমস্যাভিত্তিক শেখা ঐতিহ্যবাহী ধারার চেয়ে আলাদা। কারণ এটি শিক্ষার্থীদের একটি প্রশ্নের সমাধানের দিকে মনোনিবেশ করতে সহায়তা করে।]]
এই অধ্যায়ে প্রথমে ''[[চিন্তন ও নির্দেশনা/সমস্যা সমাধান, সমালোচনামূলক চিন্তন ও যুক্তি#glos Well-defined Problems|সুস্পষ্ট সমস্যা]]'' এবং ''[[চিন্তন ও নির্দেশনা/সমস্যা সমাধান, সমালোচনামূলক চিন্তন ও যুক্তি#glos Ill-defined Problems|অনির্দিষ্ট সমস্যা]]'' এর মধ্যে পার্থক্য করা হবে, এরপর সমস্যাগুলোর ধারণা তৈরি ও চিত্রায়নের ব্যবহার আলোচনা করা হবে এবং শেষে মানসিক স্থবিরতা কীভাবে সফল সমস্যা সমাধানে বাধা হতে পারে তা ব্যাখ্যা করা হবে।
=== সুস্পষ্ট ও অনির্দিষ্ট সমস্যা ===
সমস্যাগুলোকে সাধারণত দুটি ধরনের মধ্যে ভাগ করা যায়: অনির্দিষ্ট অথবা সুস্পষ্ট <ref name=":20" />। একটি সুস্পষ্ট সমস্যার উদাহরণ হতে পারে একটি বীজগাণিতিক সমস্যা (যেমন: ২x - ২৯ = ৭)। এখানে x-এর মান বের করতে হবে। আরেকটি উদাহরণ হতে পারে একটি টার্কির ওজন কিলোগ্রাম থেকে পাউন্ডে রূপান্তর করা। উভয় ক্ষেত্রেই এটি সুস্পষ্ট সমস্যা হিসেবে বিবেচিত হয় কারণ এখানে একটি নির্দিষ্ট সমাধান রয়েছে এবং সেই সমাধান খুঁজে পাওয়ার একটি স্পষ্ট পদ্ধতি রয়েছে।
এর বিপরীতে, অনির্দিষ্ট সমস্যা হলো এমন সব সমস্যা যেগুলো আমরা দৈনন্দিন জীবনে মোকাবিলা করি। এখানে লক্ষ্য অস্পষ্ট এবং তথ্যগুলো সাংঘর্ষিক, অসম্পূর্ণ বা অনির্ণীত থাকে <ref name=":22">Voss, J. F. (1988). Problem solving and reasoning in ill-structured domains. In C. Antaki (Ed.), Analyzing everyday explanation: A casebook of methods (pp. 74-93). London: SAGE Publications.</ref>। অনির্দিষ্ট সমস্যার একটি উদাহরণ হতে পারে “জলবায়ু পরিবর্তনের সমাধান কীভাবে করা যায়?” অথবা “দারিদ্র্য নিরসনের উপায় কী হওয়া উচিত?” কারণ এই প্রশ্নগুলোর একক কোনো সঠিক উত্তর নেই। এই সমস্যাগুলোর বিভিন্ন সমাধানের সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ এই সমস্যাগুলোর জন্য কোনো সর্বজনগ্রাহ্য কৌশল নেই। মানুষ এসব সমস্যার সমাধান ভিন্নভাবে করে থাকে, তাদের ধারণা, তত্ত্ব প্রয়োগ বা মূল্যবোধ অনুসারে<ref name=":31">Pretz, J. E., Naples, A. J., & Sternberg, R. J. (2003). Recognizing, defining, and representing problems. In J. E. Davidson and R. J. Sternberg (Eds.), The psychology of problem solving (pp. 3–30). Cambridge, UK: Cam- bridge University Press.</ref>। তদুপরি, প্রতিটি সমাধানের নিজস্ব শক্তি ও দুর্বলতা রয়েছে <ref name=":31" />।
{| border="1"
|+'''অনির্দিষ্ট বনাম সুস্পষ্ট সমস্যা'''
!অনির্দিষ্ট
!সুস্পষ্ট
|-
|বর্তমান অবস্থা স্পষ্ট নয়, লক্ষ্য অস্পষ্ট, অনুমোদিত পদ্ধতির সীমা অনির্দিষ্ট এবং একাধিক সমাধান থাকতে পারে <ref name=":22" />।
|বর্তমান অবস্থা স্পষ্ট, লক্ষ্য স্পষ্টভাবে নির্ধারিত, অনুমোদিত পদ্ধতি নির্দিষ্ট এবং একটি নির্দিষ্ট সমাধান রয়েছে <ref name=":22" />।
|-
|উদাহরণ: আমরা কীভাবে বৈশ্বিক উষ্ণায়নের সমাধান করব?
|উদাহরণ: ৫x = ১০
|-
|''[[চিন্তন ও নির্দেশনা/সমস্যা সমাধান, সমালোচনামূলক চিন্তন ও যুক্তি#glos Argumentation|যুক্তিতর্ক]]'', মনোভাব ও "মেটাকগনিশন" উচ্চ সমস্যা সমাধান স্কোরের পূর্বাভাস দেয় <ref name=":322">Shin, N., Jonassen, D. H., & McGee, S. (2003). Predictors of Well-Structured and Ill-Structured Problem Solving in an Astronomy Simulation. Journal Of Research In Science Teaching, 40(1), 6-33.8</ref>
|বিষয়ভিত্তিক জ্ঞান ও যৌক্তিকতা দক্ষতা সমস্যা সমাধানের স্কোরে প্রভাব ফেলে <ref name=":322" />।
|}
সারণি ১: সুস্পষ্ট এবং অনির্দিষ্ট সমস্যার পার্থক্য সংক্ষেপে উপস্থাপন করে।
==== অনির্দিষ্ট এবং সুস্পষ্ট সমস্যার সমাধানে পার্থক্য ====
প্রাথমিক পর্যায়ে, গবেষকরা মনে করতেন যে উভয় ধরনের সমস্যা একইভাবে সমাধান করা যায় <ref>Simon, D. P. (1978). Information processing theory of human problem solving. In W. K. Estes (Ed.), Handbook of learning and cognitive process. Hillsdale, NJ: Lawrence Erlbau</ref>, তবে আধুনিক গবেষণাগুলো এই সমাধান প্রক্রিয়ায় কিছু উল্লেখযোগ্য পার্থক্য তুলে ধরেছে।
কিচেনার (১৯৮৩) প্রস্তাব করেন, সুস্পষ্ট সমস্যাগুলোতে '''[[চিন্তন ও নির্দেশনা/সমস্যা সমাধান, সমালোচনামূলক চিন্তন ও যুক্তি#glos Epistemological Beliefs|জ্ঞানতাত্ত্বিক বিশ্বাস]]''' সংক্রান্ত কোনো অনুমান থাকে না <ref name=":20" />। কারণ এদের একটি স্পষ্ট এবং নির্দিষ্ট সমাধান থাকে। এখানে অনির্দিষ্ট সমস্যাগুলোর জন্য এই ধরনের বিশ্বাস প্রয়োজন হয় কারণ তাদের একটি স্পষ্ট এবং নির্দিষ্ট সমাধান নেই <ref>Kitchener, K.S., Cognition, metacognition, and epistemic cognition. Human Development, 1983. 26: p. 222-232.</ref>। এই ধারণার সমর্থনে, শ্র, ডাঙ্কল এবং বেন্ডিক্সেন ২০০ অংশগ্রহণকারীর উপর একটি গবেষণা করেন। এখানে তারা দেখতে পান সুস্পষ্ট সমস্যায় পারফর্ম করার দক্ষতা অনির্দিষ্ট সমস্যায় দক্ষতা প্রদর্শনের পূর্বাভাস নয়। কারণ অনির্দিষ্ট সমস্যা জ্ঞানের বিষয়ে ভিন্ন বিশ্বাস সক্রিয় করে <ref>Schraw G., Dunkle, M. E., & Bendixen L. D. (1995). Cognitive processes in well-structured and ill-structured problem solving. Applied Cognitive Psychology, 9, 523–538.</ref>।
শিন, জোনাসেন এবং ম্যাকগি (২০০৩) <ref name=":322" /> আরও দেখেছেন যে অনির্দিষ্ট সমস্যা সমাধানে এমন কিছু দক্ষতা কাজে লাগে যা সুস্পষ্ট সমস্যার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয় না। সুস্পষ্ট সমস্যায় বিষয়ভিত্তিক জ্ঞান এবং যৌক্তিকতা সমস্যা সমাধান স্কোরকে প্রভাবিত করে। এখানে অনির্দিষ্ট সমস্যায় যুক্তিতর্ক, মনোভাব এবং '''<u>মেটাকগনিশন</u>''' বেশি প্রভাব ফেলে।
এই অনুসন্ধানের সাথে সঙ্গতি রেখে, চো এবং জোনাসেন (২০০২) <ref>Cho, K. L., & Jonassen, D. H. (2002) The effects of argumentation scaffolds on argumentation and problem solving. Educational Technology: Research & Development, 50(3), 5-22.</ref> দেখিয়েছেন যে অনির্দিষ্ট সমস্যা সমাধানের জন্য দলগুলো আরও বেশি যুক্তিতর্ক ও সমস্যা সমাধানের কৌশল তৈরি করে কারণ তাদেরকে বিভিন্ন সমাধান ও দৃষ্টিভঙ্গি বিবেচনায় নিতে হয়। এর বিপরীতে, একই যুক্তিতর্ক পদ্ধতি সুস্পষ্ট সমস্যার ক্ষেত্রে অংশগ্রহণকারীদের কার্যক্রমে বিঘ্ন ঘটায়। এই গবেষণা দুটি ধরনের সমস্যার সমাধান প্রক্রিয়ায় মৌলিক পার্থক্য নির্দেশ করে।
===== শ্রেণিকক্ষ পরিবেশের প্রভাব =====
সুস্পষ্ট এবং অনির্দিষ্ট সমস্যার মৌলিক পার্থক্য নির্দেশ করে অনির্দিষ্ট সমস্যা সমাধানের জন্য ভিন্ন ধরনের দক্ষতা, কৌশল ও পন্থা দরকার <ref name=":322" />। অথচ অধিকাংশ শিক্ষাগত কার্যক্রম সুস্পষ্ট সমস্যার সমাধানে শিক্ষার্থীদের যুক্ত করে, যেমন পাঠ্যপুস্তকের শেষে থাকা সমস্যা বা মানসম্পন্ন পরীক্ষাগুলোর প্রশ্ন <ref name=":23">Jonassen, D. H. (2000). Revisiting activity theory as a framework for designing student-centered learning environments. In D. H. Jonassen, S. M. Land, D. H. Jonassen, S. M. Land (Eds.) , Theoretical foundations of learning environments (pp. 89-121). Mahwah, NJ, US: Lawrence Erlbaum Associates Publishers.</ref>। দুর্ভাগ্যজনকভাবে, সুস্পষ্ট সমস্যার জন্য ব্যবহৃত কৌশল বাস্তব জীবনের অনির্দিষ্ট সমস্যার ক্ষেত্রে তেমন কার্যকর নয় <ref>Spiro, R. J., Feltovich, P. J., Jacobson, M. J., & Coulson, R. L. (1992). Cognitive flexibility, constructivism, and hypertext: Random access instruction for advanced knowledge acquisition in ill-structured domains. In T. M. Duffy, D. H. Jonassen, T. M. Duffy, D. H. Jonassen (Eds.) , Constructivism and the technology of instruction: A conversation (pp. 57-75). Hillsdale, NJ, England: Lawrence Erlbaum Associates, Inc.</ref>। কারণ সুস্পষ্ট সমস্যার জন্য ব্যবহৃত সরলীকৃত কৌশলগুলোর বাস্তব জীবনের সমস্যার সাথে প্রায় কোনো মিল নেই <ref name=":23" />
এটি নির্দেশ করে শ্রেণিকক্ষ এমনভাবে পুনর্গঠন করা উচিত যা শিক্ষার্থীদের অনির্দিষ্ট সমস্যার সমাধানে সহায়তা করে। এর একটি উপায় হতে পারে শিক্ষার্থীদের এমন প্রশ্ন জিজ্ঞেস করা যা বাস্তব জীবনের সমস্যার প্রতিফলন করে <ref name=":24">Barrows, H. S. (1996). “Problem-based learning in medicine and beyond: A brief overview.” In L. Wilkerson & W. H. Gijselaers (Eds.), Bringing ''[[চিন্তন ও নির্দেশনা/সমস্যা সমাধান, সমালোচনামূলক চিন্তন ও যুক্তি#glos Problem-Based Learning|Problem-Based Learning]]'' to higher education: Theory and practice (pp. 3-12). San Francisco: Jossey Bass.</ref>। এই পদ্ধতিকে বলা হয় '''<u>সমস্যাভিত্তিক শিক্ষা</u>''' এবং এই শ্রেণিকক্ষ কাঠামোতে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন উৎস থেকে প্রমাণ, তথ্য ও উপাত্ত সংগ্রহ করে প্রশ্নের সমাধান খুঁজে বের করার সুযোগ পায় <ref name=":25">(Barron, B., & Darling-Hammond, L. (2008). Teaching for meaningful learning: A review of research on inquiry-based and cooperative learning. Powerful Learning: What We Know About Teaching for Understanding (pp. 11-70). San Francisco, CA: Jossey-Bass.)</ref>। এতে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি ও ব্যাখ্যা বিবেচনা করে তথ্য বিশ্লেষণ এবং উপস্থাপন শেখে <ref name=":25" />।
====== শ্রেণিকক্ষের কাঠামো ======
সমস্যাভিত্তিক শিক্ষায়, শিক্ষার্থীরা ছোট ছোট দলে কাজ করে যেখানে তারা তাৎপর্যপূর্ণ সমস্যার অনুসন্ধান করে, সমস্যার সমাধানে প্রয়োজনীয় তথ্য চিহ্নিত করে এবং কার্যকর সমাধানের পদ্ধতি নির্ধারণ করে <ref name=":24" />। শিক্ষার্থীরা এই কৌশলগুলো প্রয়োগ করে, তাদের ফলাফল বিশ্লেষণ করে এবং নতুন কৌশল উদ্ভাবন করে যতক্ষণ না তারা কার্যকর সমাধানে পৌঁছায় <ref name=":24" />। এই শ্রেণিকক্ষ কাঠামোতে শিক্ষক শিক্ষণ প্রক্রিয়াকে পরিচালনা করেন, অংশগ্রহণে উৎসাহ দেন এবং শিক্ষার্থীদের বিশ্লেষণ ও সমালোচনামূলক চিন্তা বাড়াতে প্রশ্ন করেন <ref name=":24" />। এছাড়াও শিক্ষকরা প্রথাগত লেকচার এবং ব্যাখ্যা প্রদান করতে পারেন যা শিক্ষার্থীদের অনুসন্ধান ভিত্তিক শিক্ষায় সহায়তা করে <ref name=":24" />।
সমস্যাভিত্তিক শিক্ষার কার্যকারিতা সমর্থনে ডচি, সেজার্স, ভ্যান ডেন বোশে এবং গিজবেলস (২০০৩) পরিচালিত একটি মেটা-বিশ্লেষণ দেখিয়েছে যে সমস্যাভিত্তিক শিক্ষা ঐতিহ্যবাহী শিক্ষার চেয়ে বেশি কার্যকর, বিশেষত নমনীয় সমস্যা সমাধান, জ্ঞানের প্রয়োগ এবং অনুমান তৈরির ক্ষেত্রে <ref>Dochy, F., Segers, M., Van den Bossche, P., & Gijbels, D. (2003). Effects of problembased learning: A meta-analysis. Learning and Instruction, 13, 533–568.</ref>।
অধিকন্তু, উইলিয়ামস, হেমস্ট্রিট, লিউ এবং স্মিথ (১৯৯৮) করেছিলেন যে এই পদ্ধতি বিজ্ঞানে ধারণাগত বোঝাপড়ায় আরও উন্নতি সাধন করে<ref>Williams, D., Hemstreet, S., Liu, M.& Smith, V. (1998). Examining how middle school students use problem-based learning software. Unpublished paper presented at the ED-Media/ED Telecom ‘98 world Conference on Educational Multimedia and Hypermedia & World Conference on Educational Telecommunications, Freiberg, Germany.</ref>। সর্বশেষে গ্যালাঘের, স্টেপিয়েন, এবং রোজেনথাল (১৯৯২) দেখেছেন, প্রচলিত পদ্ধতি বনাম প্রকল্প-ভিত্তিক পদ্ধতির তুলনায়, সমস্যা-ভিত্তিক শিক্ষায় শিক্ষার্থীরা সমস্যাকে সংজ্ঞায়িত করার দক্ষতা প্রদর্শন করে<ref>Gallagher, S. A., Stepien, W. J., & Rosenthal, H. (1992). The effects of problem based learning on problem solving. Gifted Child Quarterly, 36, 195–200. Gertzman, A., & Kolodner, J. L.</ref>। এই গবেষণাগুলি সমস্যা-ভিত্তিক শিক্ষার সুবিধাগুলি তুলে ধরে যা বিজ্ঞানে সমস্যা বোঝা ও সংজ্ঞায়িত করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। সমস্যা সংজ্ঞায়নের ইতিবাচক প্রভাবের পরিপ্রেক্ষিতে, এই শিক্ষাগত পদ্ধতি পরবর্তী উপ-ভাষ্য 'সমস্যার ধারণাকরণ' বিষয়েও প্রযোজ্য হতে পারে।
=== সমস্যা সমাধানের ধাপ ===
সমস্যা সমাধান সংক্রান্ত গবেষণায় সাধারণভাবে পাঁচটি ধাপ চিহ্নিত করা হয়েছে: (১) সমস্যা শনাক্তকরণ, (২) সমস্যা উপস্থাপন, (৩) উপযুক্ত কৌশল নির্বাচন, (৪) কৌশল বাস্তবায়ন, এবং (৫) সমাধান মূল্যায়ন<ref name=":202" />। এই আলোচনা সমস্যার প্রথম দুটি ধাপে গুরুত্ব দেবে এবং বিশ্লেষণ করবে কীভাবে এই ধাপগুলো সমস্যা সমাধানে প্রভাব ফেলে।
[[চিত্র:PBL_Cycle.png|থাম্ব|সমস্যা সমাধানের পাঁচটি ধাপ একটি চক্র তৈরি করে যা শিক্ষার্থীদের সর্বোত্তম সমাধান চিন্তার ধারাকে পরিশোধিত করতে সাহায্য করে।]]
==== সমস্যার ধারণাকরণ ====
সমস্যা সমাধানের সবচেয়ে ক্লান্তিকর এবং কঠিন দিকগুলোর একটি হলো সমস্যাটি শনাক্ত করা। কারণ এটি করতে হলে সমস্যাটিকে বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে বিবেচনা করতে হয় এবং খুব তাড়াতাড়ি কোনো এক নির্দিষ্ট সমাধানে পৌঁছানোর প্রবণতা থেকে বিরত থাকতে হয়<ref name=":212" />। তদুপরি, এটি স্পষ্টভাবে সমস্যা নির্ধারণে সময় ব্যয় করাও গুরুত্বপূর্ণ। কারণ কোনো নির্দিষ্ট সমস্যা 'ধারণা করতে' ব্যয় করা সময় এবং সমাধানের মানের মধ্যে একটি সম্পর্ক রয়েছে<ref name=":202" />।
উদাহরণস্বরূপ, নিম্নোক্ত সমস্যাটি বিবেচনা করুন:
''বেকা তার ওভেনে পঁচিশ মিনিটে একটি চকলেট কেক বানিয়েছে। তাকে তিনটি চকলেট কেক বানাতে কতক্ষণ সময় লাগবে?''
বেশিরভাগ মানুষ ২৫ গুণ ৩ করে সমাধানে পৌঁছাবে, কিন্তু যদি সব কেক একসাথে ওভেনে বসানো হয়, তাহলে দেখা যাবে তিনটি কেক বানাতেও একই সময় লাগবে যত সময় লাগে একটি কেক বানাতে। এই উদাহরণটি সমস্যাটি সঠিকভাবে ধারণা করার প্রয়োজনীয়তাকে তুলে ধরে এবং সমাধানে তাড়াহুড়ো না করে সমস্যাটি বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে দেখার প্রয়োজনীয়তাও নির্দেশ করে।
এটি আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যেতে, সমস্যাটি ধারণা করতে নিচের পাঁচটি ধাপ বিশ্লেষণ করুন:
'''পর্যায় ১ - সমস্যা সংজ্ঞায়িত করা'''
{| class="wikitable"
!লক্ষ্য (আমি চাই...)
!বাধা (কিন্তু...)
|-
|'''একটি নতুন গাড়ি কিনতে চাই।'''
!আমি জানি না কোন মডেলটি সবচেয়ে সাশ্রয়ী।
|-
|'''আরও ব্যায়াম করতে চাই।'''
!আমি জানি না কখন সময় পাব।
|-
|'''ভালো চাকরি পেতে চাই।'''
!আমি জানি না আমাকে কী ধরণের পুনঃপ্রশিক্ষণ নিতে হবে।
|}
'''পর্যায় ২ - সমাধানের জন্য আইডিয়া তৈরি'''
{| class="wikitable"
!সমস্যা
!তথ্য যাচাই
|-
|'''আমার একটি নতুন গাড়ি কেনা দরকার।'''
|'''এতে কত টাকা লাগবে?'''
'''আমি কি সত্যিই গাড়ি প্রয়োজন নাকি গণপরিবহন ব্যবহার করতে পারি?'''
'''নতুন গাড়ি ভালো নাকি পুরনো কেনা ভালো হবে?'''
|}
'''পর্যায় ৩ - একটি সমাধান নির্বাচন করুন'''
{| class="wikitable"
![[চিত্র:Stage_4.png|ফ্রেমহীন]]
|}
'''পর্যায় ৪ - সমাধান বাস্তবায়ন করুন'''
{| class="wikitable"
![[চিত্র:Step_3_-_Problem_Solving.png|ফ্রেমহীন]]
|}
'''পর্যায় ৫ - ফলাফল পর্যালোচনা করুন'''
{| class="wikitable"
!ফলাফল -
নতুন গাড়ি কেনার সিদ্ধান্ত কি সেরা ছিল?
নতুন গাড়ি কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো, টাকা জমিয়ে তা কেনা হলো, এবং একটি সাশ্রয়ী গাড়ি কেনা হলো।
নতুন গাড়ির দাম বেশি ছিল, কিন্তু এটি নির্ভরযোগ্য এবং দীর্ঘসময় পরিবহন হিসেবে কাজ করছে।
সুতরাং, এটি সেরা সমাধান ছিল।
|}
গবেষণাও এই কথাটিকে সমর্থন করে। পরবর্তী ধাপে যাওয়ার আগে সমস্যাটি স্পষ্টভাবে সংজ্ঞায়িত করা জরুরি। এই যুক্তির পক্ষে, গেটজেল এবং সিক্সজেন্টমিহালি দেখেছেন যে যারা চিত্রশিল্পী শিক্ষার্থী তাদের মধ্যে যারা তাদের শিল্পকর্ম তৈরির সময় বেশি সময় সমস্যা চিহ্নিতকরণে ব্যয় করে, তাদের কাজকে অন্যদের তুলনায় বেশি সৃজনশীল এবং মৌলিক হিসেবে মূল্যায়ন করা হয়েছে<ref name=":202" />। গবেষকরা ধারণা করেছেন, তারা এই প্রাথমিক ধাপে অধিক বিকল্প বিবেচনায় নিয়ে আরও মৌলিক ও গতিশীল সমাধানে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছেন।
এছাড়াও, অভিজ্ঞ শিক্ষক এবং নতুন প্রশিক্ষণরত শিক্ষার্থীদের মধ্যে তুলনা করলে দেখা যায় যে, অভিজ্ঞ শিক্ষকরা কল্পিত শ্রেণীকক্ষে পাঠ পরিকল্পনায় তুলনামূলকভাবে বেশি সময় ব্যয় করেন<ref name=":202" />। উপরন্তু, তারা উভয় ধরণের সমস্যায় (স্পষ্ট ও অস্পষ্টভাবে সংজ্ঞায়িত) উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি সমাধান প্রস্তাব করতে পেরেছেন। ফলে দেখা যায়, সফল সমস্যা সমাধানের সঙ্গে সঠিক সমস্যা নির্ধারণে সময় ব্যয় এবং বহুবিধ সমাধান বিবেচনার সম্পর্ক রয়েছে।
===== শিক্ষণগত প্রভাব =====
গবেষণালব্ধ তথ্য থেকে একটি শিক্ষণগত ধারণা নেওয়া যায় যে, সমস্যা ধারণায় ব্যয় করা সময় এবং সমাধানের মানের মধ্যে সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে, তাই শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের এই পর্যায়ে যতটা সম্ভব সময় ব্যয় করতে উৎসাহিত করা উচিত<ref name=":202" />। এই জ্ঞান প্রদান করে এবং শিক্ষার্থীদের সমস্যা সমাধানের প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করে নিশ্চিত করা যে তারা সমস্যা ধারণায় “থেমে থাকে”, আমরা কার্যকর সমস্যা সমাধানে সহায়তা করতে পারি<ref name=":202" />।
==== সমস্যার উপস্থাপন ====
''[[চিন্তন ও নির্দেশনা/সমস্যা সমাধান, সমালোচনামূলক চিন্তন ও যুক্তি#glos সমস্যার উপস্থাপন|সমস্যার উপস্থাপন]]'' বলতে কোনো নির্দিষ্ট সমস্যার সম্পর্কিত তথ্য কীভাবে সংগঠিত করা হয় তা বোঝানো হয়<ref name=":202" />। বিমূর্ত উপস্থাপনায় আমরা শুধুমাত্র চিন্তা করি বা কথায় বলি, কোনো দৃশ্যমান উপস্থাপন করি না<ref name=":202" />। সমস্যা উপস্থাপনকে দৃশ্যমান করতে গেলে কাগজ, কম্পিউটার ইত্যাদির মাধ্যমে গল্প, প্রতীক, ছবি, সমীকরণ বা গ্রাফের মাধ্যমে উপস্থাপন করতে হয়। এই দৃশ্যমান উপস্থাপনাগুলি<ref name=":202" /> কার্যকর হতে পারে। কারণ সেগুলি সমাধান এবং ধাপগুলি ট্র্যাক রাখতে সাহায্য করে। এটি জটিল সমস্যায় বিশেষভাবে উপকারী।
[[চিত্র:Bud_Monk_2.png|থাম্ব|ডাঙ্কারের বৌদ্ধ সন্ন্যাসী উদাহরণ।]]
উদাহরণস্বরূপ, যদি আমরা ডাঙ্কারের বৌদ্ধ সন্ন্যাসী উদাহরণটি দেখি<ref name=":202" />:
সকালে একজন বৌদ্ধ সন্ন্যাসী সূর্যোদয়ের সময় পাহাড়ে উঠে মন্দিরে যান। তিনি সূর্যাস্তের ঠিক আগে সেখানে পৌঁছান। কয়েকদিন পর, তিনি সূর্যোদয়ের সময় মন্দির থেকে নামা শুরু করেন এবং উপরের চেয়ে দ্রুত গতিতে নামেন। আপনি কি দেখাতে পারেন এমন একটি স্থান। এখানে তিনি উভয় যাত্রার সময় একই সময়ে পার হয়েছেন?<ref name=":202" />
শুধু বিমূর্ত উপস্থাপন ব্যবহার করলে এই সমস্যাটি সমাধান করা অসম্ভব মনে হয়। কারণ এতে অনেক তথ্য আছে, তা মৌখিকভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে এবং প্রশ্নে অপ্রাসঙ্গিক তথ্যও রয়েছে। দৃশ্যমান উপস্থাপন ব্যবহার করলে আমরা একটি মানসিক চিত্র তৈরি করতে পারি। এখানে দুইটি যাত্রাপথ ছেদ করে এবং সেখানে পৌঁছে একটি কার্যকর সমাধানে আসা সহজ হয়<ref>Bruning, G.J. Schraw & M.M. Norby (2011) Cognitive Psychology and Instruction (5th Ed). New York: Pearson.</ref>।
গবেষণাও দেখায়, কঠিন সমস্যার ক্ষেত্রে দৃশ্যমান উপস্থাপন উপকারী। মার্টিন এবং শোয়ার্জ<ref>Martin, L., and D. L. Schwartz. 2009. “Prospective Adaptation in the Use of External Representations.” Cognition and Instruction 27 (4): 370–400. doi:10.1080/</ref> দেখেছেন যে কঠিন কাজে এবং যখন মাঝে মাঝে সম্পদ ব্যবহার করা যায়, তখন বহিঃস্থ উপস্থাপন বেশি ব্যবহার করা হয়। যদিও এই উপস্থাপন তৈরি করতে সময় লাগে। এরা এগুলো তৈরি করেন তারা কার্যকরভাবে এবং নির্ভুলভাবে সমস্যার সমাধান করতে সক্ষম হন।
আরেকটি সুবিধা হলো এই দৃশ্য উপস্থাপন আমাদের জ্ঞাতাগত পক্ষপাত কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করে। চেম্বারস এবং রেইসবার্গ কর্তৃক পরিচালিত একটি গবেষণায়<ref>Chambers, D., and D. Reisberg. 1985. “Can Mental Images Be Ambiguous?” Journal of Experimental Psychology: Human A pragmatic perspective on visual representation and creative thinking Perception and Performance 11 (3): 317–328.</ref> অংশগ্রহণকারীদের একটি ছবি দেখে চোখ বন্ধ করে সেটির মানসিক চিত্র তৈরি করতে বলা হয়। পরে যখন তাদের সেই মানসিক চিত্র থেকে বিকল্প ব্যাখ্যা বের করতে বলা হয়, তখন কেউই তা করতে পারেনি। কিন্তু যখন ছবি দৃশ্যমানভাবে উপস্থাপন করা হয়, তখন তারা দ্রুত ছবি ঘুরিয়ে অন্য ব্যাখ্যায় পৌঁছাতে পেরেছে। এটি দেখায়, দৃশ্য উপস্থাপন শিক্ষার্থীদের মানসিক জড়তার বিরুদ্ধে কাজ করতে সাহায্য করতে পারে। এটি পরবর্তী অংশে আলোচনা করা হবে।
===== শিক্ষণগত প্রভাব =====
উপরে দেখা গেছে, বিমূর্ত উপস্থাপনায় নির্ভর করলে আমাদের মস্তিষ্কের সীমিত স্বল্প-মেয়াদি স্মৃতি অতিরিক্তভাবে চাপের মধ্যে পড়ে<ref name=":202" />। অনেক সমস্যা এই সীমা অতিক্রম করে যার ফলে আমরা আমাদের কাজের স্মৃতিতে প্রয়োজনীয় সব তথ্য রাখতে পারি না<ref name=":202" />। ফলে এটি ইঙ্গিত করে, শিক্ষকরা সমস্যাগুলো দৃশ্যমান বা লিখিতভাবে উপস্থাপন করলে জ্ঞাতাগত চাপ কমবে। সর্বশেষে, শিক্ষকদের উচিত শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন বহিঃস্থ উপস্থাপন যেমন চার্ট, গ্রাফ, ছবি ইত্যাদির মাধ্যমে তথ্য উপস্থাপনের উপায় দেখানো যাতে করে তারা কার্যকর সমাধান খুঁজে পেতে পারে।
=== সমস্যা সমাধানের চ্যালেঞ্জ ===
উপরে আলোচনা অনুযায়ী, সমস্যা সমাধানকে সহজতর করতে বিভিন্ন কৌশল রয়েছে, কিন্তু এমন কিছু বিষয়ও রয়েছে যা এই প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ: কারও পূর্বের অভিজ্ঞতা অনেক সময় নতুন সমাধান, পন্থা বা ধারণা ভাবতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারে<ref name=":26">Öllinger, M., Jones, G., & Knoblich, G. (2008). Investigating the effect of mental set on insight problem solving. Experimental Psychology, 55(4), 269-282. doi:10.1027/1618-3169.55.4.269</ref>।
==== মনোভাব ====
একটি মনোভাব বলতে বোঝায় কোনো কাজের প্রতি আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি যা অতীত অভিজ্ঞতার দ্বারা প্রভাবিত হয়ে গঠিত হয়।<ref name=":262" /> "Mental set" বলতে বোঝায় অতীতের সফল সমাধানগুলোকেই আমরা বারবার ব্যবহার করতে চাই, পরিবর্তে নতুন কোনো বিকল্প উপায় খুঁজে বের না করা। কিছু কিছু পরিস্থিতিতে এই ধরণের মানসিকতা কার্যকরী হতে পারে, যেমন পূর্বের সফল কৌশল ব্যবহার করে আমরা দ্রুত কোনো সমস্যার সমাধান খুঁজে পেতে পারি। তবে, এটি অনেক সম্ভাব্য এবং অধিক কার্যকর সমাধানকে বাদ দিয়ে দিতে পারে।
[[চিত্র:Candle_task.png|থাম্ব|মোমবাতির কাজ হলো একটি উদাহরণ যা দেখায় কীভাবে বন্ধ মানসিকতা "কার্যকরী স্থিরতা" সৃষ্টি করে।]]
==== কার্যকরী স্থিরতা ====
''[[চিন্তন ও নির্দেশনা/সমস্যা সমাধান, সমালোচনামূলক চিন্তন ও যুক্তি#glos Functional fixedness|কার্যকরী স্থিরতা]]'' হলো এক ধরনের মানসিক গঠন যেখানে আমরা কোনো বস্তুর প্রচলিত কাজেই সীমাবদ্ধ থাকি এবং তার নতুন সম্ভাব্য ব্যবহারগুলো উপেক্ষা করি।<ref name=":203" />
"কার্যকরী স্থিরতা"-এর একটি প্রথাগত উদাহরণ হলো "মোমবাতির সমস্যা"।<ref>Duncker, K. (1945). On Problem Solving. Psychological Monograph, Whole No. 270.</ref> ধরুন আপনি একটি টেবিলের সামনে বসে আছেন। এখানে একটি বাক্স ভর্তি ট্যাক, একটি মোমবাতি এবং কিছু ম্যাচ আছে। আপনাকে বলা হলো যত দ্রুত সম্ভব একটি জ্বলন্ত মোমবাতিকে কর্কবোর্ড দেওয়ালে এমনভাবে বসাতে হবে যাতে মোম টেবিলে গলে না পড়ে। কার্যকরী স্থিরতা-এর কারণে আপনি প্রথমে মনে করতে পারেন ট্যাক ব্যবহার করে মোমবাতিকে দেয়ালে পিন করে দেওয়াটাই সঠিক। কারণ সাধারণত ট্যাক এমন কাজেই ব্যবহৃত হয়—এই অভ্যস্ততাই এক্সপেরিমেন্টের অংশগ্রহণকারীদের প্রভাবিত করেছিল। কিন্তু এটি ভুল সমাধান কারণ এতে মোম টেবিলে গলে পড়বে।
সবচেয়ে কার্যকর সমাধান হলো ট্যাক ভর্তি বাক্সটিকে শুধু একটি ধারক হিসেবে না দেখে একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কল্পনা করা। যদি আমরা বাক্সটি খালি করি, তবে এটি মোমবাতির জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ব্যবহার করতে পারি এবং ট্যাকগুলো দিয়ে বাক্সটিকে দেয়ালে লাগাতে পারি। প্রথমে এই সমাধানটি ভাবা কঠিন। কারণ আমরা বাক্সটিকে সাধারণত ট্যাক রাখার পাত্র হিসেবেই ভাবি এবং এর অন্য কোনো ব্যবহার কল্পনা করতে পারি না (যেমন, এটি একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করতে পারে)। এই পরীক্ষাটি দেখায় কিভাবে পূর্ব জ্ঞান আমাদের চিন্তাকে সীমাবদ্ধ করতে পারে এবং সমস্যা সমাধানে বাধা সৃষ্টি করতে পারে।
===== কার্যকরী স্থিরতা কাটিয়ে ওঠার কৌশল =====
ম্যাকক্যাফ্রে (২০১২) এর প্রস্তাব অনুযায়ী,<ref name=":27">McCaffrey, T. (2012). Innovation relies on the obscure: A key to overcoming the classic problem of functional fixedness. Psychological Science, 23(3), 215-218.</ref> কার্যকরী স্থিরতা কাটিয়ে ওঠার একটি উপায় হলো বস্তুকে খণ্ড খণ্ড অংশে ভাগ করা। এভাবে আমরা দুটি মৌলিক প্রশ্ন করতে পারি: “এটি কি আরও ছোট অংশে ভাঙা যায়?” এবং “আমার বর্ণিত অংশের নাম কি কোনো ব্যবহার নির্দেশ করে?” এই বিষয়টি বোঝাতে ম্যাকক্যাফ্রে একটি "স্টিলের আংটি চিত্র-৮" উদাহরণ দিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে একজন ব্যক্তিকে দুটি স্টিল রিং, একটি মোমবাতি এবং একটি ম্যাচ দেওয়া হয়। তাকে বলা হয় এই দুটি রিংকে মিলিয়ে একটি ৮ আকৃতি তৈরি করতে।
ব্যক্তি যখন সরঞ্জামগুলোর দিকে তাকায় তখন সে ভাবতে পারে মোমবাতির মোম গলিয়ে স্টিল রিং দুটি জোড়া লাগানো যেতে পারে। কিন্তু মোম যথেষ্ট শক্ত নয়। তখন প্রশ্ন দেখা দেয়, কীভাবে রিং দুটি জোড়া লাগানো যায়।
এখানে মোমবাতির সলতা একটি টুল হিসেবে রয়ে যায়, কিন্তু যখন আমরা এটিকে আলো দেওয়ার উপায় হিসেবে ভাবি, তখন আমরা বিকল্প ব্যবহার ভাবতে পারি না। কিন্তু যদি আমরা সলতাকে শুধুই একটি মোমে মোড়ানো সুতা হিসেবে দেখি, তাহলে আমরা সঠিক সমাধানে পৌঁছাতে পারি। এই সুতা ব্যবহার করে দুটি রিংকে একসাথে বাঁধা যেতে পারে। ম্যাকক্যাফ্রে (২০১২) দেখিয়েছেন। এরা এই কৌশলে প্রশিক্ষিত ছিল তারা কন্ট্রোল গ্রুপের তুলনায় ৬৭% বেশি সমস্যার সমাধান করতে পেরেছিল।<ref name=":27" />
====== শিক্ষণতাত্ত্বিক প্রভাব ======
এই কৌশলটি কার্যকর প্রমাণিত হওয়ায়, এটি নির্দেশ করে বহুবিধ চিন্তাভাবনা শেখাতে শিক্ষার্থীদের শেখানো উচিত: “এই বস্তুটি আরও ছোট অংশে ভাগ করা যায় কি না”<ref name=":27" /> এবং “বর্ণিত অংশের নাম কোনো নির্দিষ্ট ব্যবহার নির্দেশ করে কি না”। এতে শিক্ষার্থীরা বস্তুগুলিকে তাদের মৌলিক রূপে বিশ্লেষণ করতে শিখবে এবং সমস্যার অস্পষ্ট বৈশিষ্ট্যগুলোকে স্পষ্ট করে তুলতে পারবে। এটি পূর্বে আলোচিত "ধারণাকরণ"-এর ধারণার সঙ্গে যুক্ত যেখানে সমস্যা সমাধানের দক্ষতা বাড়ানো যায় সমস্যাটি সঠিকভাবে সংজ্ঞায়িত করার ওপর জোর দিয়ে, আমাদের পূর্বধারণার ওপর ভিত্তি করে হঠাৎ সিদ্ধান্ত না নিয়ে। পরবর্তী অংশে আমরা আলোচনা করবো সমস্যা সমাধানে বিশেষজ্ঞরা কী কৌশল ব্যবহার করেন।
== সমস্যা সমাধানে নবীন বনাম বিশেষজ্ঞ ==
অনেক গবেষক মনে করেন, কার্যকর সমস্যা সমাধান দুটি গুরুত্বপূর্ণ ভেরিয়েবলের উপর নির্ভর করে: আমরা নির্দিষ্ট ধরণের সমস্যাগুলো সমাধানে কতটা অভিজ্ঞ তা<ref name=":28">Taconis, R., Ferguson-Hessler, M. G. M., & Broekkamp, H. (2002). Teaching science problem solving: An overview of experimental work. Journal of Research in Science Teaching, 38, 442–46</ref>। এটি আমরা পূর্বে আলোচনা করেছি যে, সমস্যা-ভিত্তিক পদ্ধতিতে অনুশীলনের মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের দক্ষতা বাড়ানো যায়। তবে দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হলো আমরা নির্দিষ্ট বিষয়ে কতটা জ্ঞান রাখি<ref name=":28" />। বিশেষজ্ঞদের সেই বিষয়ে বিপুল পরিমাণ জ্ঞান থাকে। এটি তাদের প্রাসঙ্গিক সমস্যার সমাধানে দ্রুত ও কার্যকরী সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করে। বিশেষজ্ঞরা নিজেদের জ্ঞানকে সংগঠিতভাবে সাজাতে পারেন। এটি তাদের তথ্য বোঝা, সাজানো ও ব্যাখ্যা করার প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করে এবং এর ফলে তারা নবীনদের তুলনায় ভালোভাবে স্মরণ, বিশ্লেষণ এবং সমাধান করতে সক্ষম হন।<ref>Bransford, J. D., Brown, A. L., & Cocking, R. R. (Eds.). (2000). How people learn: Brain, mind, experience, and school. Washington, DC: National Academies Press.</ref>
বিশেষজ্ঞ ও নবীনদের সমস্যা সমাধানের কৌশলের মধ্যে তুলনা করলে দেখা যায়, বিশেষজ্ঞরা সাধারণত তাদের জ্ঞানকে গভীর কাঠামো বা মৌলিক ধারণার চারপাশে সংগঠিত করেন, যেমন সমস্যাটি সমাধানে কী ধরণের কৌশল প্রয়োজন<ref name=":29">Novick, L. R., & Bassok, M. (2005). Problem solving. In K. Holyoak & R. Morrison (Eds.), The Cambridge handbook of thinking and reasoning (pp. 321–350). Cambridge, UK: Cambridge University Press.</ref>। এর বিপরীতে, নবীনরা সমস্যাগুলোকে বাহ্যিক কাঠামোর ভিত্তিতে শ্রেণিবদ্ধ করে, যেমন সমস্যায় থাকা বস্তুগুলো।<ref name=":29" />
বিশেষজ্ঞরা সমস্যা বিশ্লেষণ ও শনাক্ত করতে নবীনদের তুলনায় বেশি সময় ব্যয় করেন। তারা সমাধান বাস্তবায়নের আগে চিন্তা ও পরিকল্পনার জন্য বেশি সময় নেন এবং কিছু নির্দিষ্ট কৌশল ব্যবহার করেন যা তাদের আরও কার্যকর সমাধান দিতে সক্ষম করে।<ref>Fuchs, L. S., Fuchs, D., Stuebing, K., Fletcher, J. M., Hamlett, C. L., & Lambert, W. (2008). Problem solving and computational skills: Are they shared or distinct aspects of mathematical cognition? Journal of Educa- tional Psychology, 100, 30–</ref>
এছাড়াও, বিশেষজ্ঞরা নবীনদের তুলনায় সমস্যার গভীর এবং পূর্ণাঙ্গ উপস্থাপনায় নিয়োজিত থাকেন, যেমন বাহ্যিক উপস্থাপন পদ্ধতি—ডায়াগ্রাম বা স্কেচ—ব্যবহার করে তথ্য তুলে ধরা এবং সমস্যার সমাধান করা। এর ফলে তারা দ্রুত এবং আরও ভালো সমাধানে পৌঁছাতে পারেন।<ref name=":30">McNeill, K., & Krajcik, J. (2008). Scientific explanations: Characterizing and evaluating the effects of teachers’ instructional practices on student learning. Journal of Research in Science Teaching, 45, 53–78.</ref>
উপরের আলোচনার ভিত্তিতে বলা যায়, সমস্যা সমাধান ও দক্ষতা একে অপরের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। কারণ বিশেষজ্ঞরা যেসব কৌশল ব্যবহার করেন সেগুলো কার্যকর সমস্যা সমাধানের কৌশল হিসেবেও চিহ্নিত হয়েছে। তাই বলা যায়, বিশেষজ্ঞদের শুধু বিষয়ভিত্তিক জ্ঞানই বেশি নয়, তারা জানেন এবং প্রয়োগ করেন সবচেয়ে কার্যকর কৌশলগুলো যাতে করে তারা নবীনদের তুলনায় আরও দ্রুত এবং দক্ষতার সঙ্গে সমস্যার সমাধান করতে পারেন।<ref name=":30" /> পরবর্তী অংশে আমরা আলোচনা করবো সমস্যা সমাধান ও সমালোচনামূলক চিন্তার মধ্যকার সম্পর্ক।
== সমস্যা সমাধানে কগনিটিভ টিউটর ==
কগনিটিভ টিউটর বা জ্ঞানীয় শিক্ষক হলো এক ধরনের বুদ্ধিমান শিক্ষণ সহায়ক পদ্ধতি।<ref name=":332">Aleven, V. A. W. M. M., & Koedinger, K. R. (2002) An effective meta-cognitive strategy: learning by doing and explaining with a computer-based Cognitive Tutor. Cognitive Science, 26(2), 147–179.</ref> এটি শিক্ষার্থীদের আলাদা ভিত্তিতে বিভিন্ন ধরণের সমস্যা দিতে পারে, ব্যবহারকারীর সমাধান প্রক্রিয়া ট্র্যাক করতে পারে, প্রয়োজনীয় মুহূর্তে প্রতিক্রিয়া ও ইঙ্গিত দিতে পারে এবং দক্ষতা অর্জনের মানদণ্ড বাস্তবায়ন করতে পারে।<ref name=":342">Anderson, J. R., Corbett, A. T., Koedinger, K. R., & Pelletier, R. (1995). Cognitive Tutors: Lessons learned. Journal of the Learning Sciences, 4(2), 167.</ref>
অ্যান্ডারসন এবং তার সহকর্মীদের মতে,<ref name=":342" /> যারা LISP টিউটরের সাহায্যে কাজ করেছে তারা সমস্যাগুলো ৩০% দ্রুত সমাধান করেছে এবং ৪৩% ভালো ফল করেছে তাদের সহপাঠীদের তুলনায় যারা শুধু শিক্ষকের সহায়তায় মিনি কোর্স করেছিল। একইভাবে। এরা এসিটি প্রোগ্রামিং টিউটর (APT) ব্যবহার করেছে (এটি তাত্ক্ষণিক প্রতিক্রিয়া দেয়) তারা ঐ সমস্যার সেটগুলো দ্রুত শেষ করেছে এবং পরীক্ষায় ২৫% বেশি নম্বর পেয়েছে ঐসব শিক্ষার্থীদের তুলনায় যারা প্রচলিত উপায়ে ক্লাস করেছে।<ref name=":35">Corbett, A. T., & Anderson, J. R. (2001). Locus of feedback control in computer-based tutoring: Impact on learning rate, achievement and attitudes. In Proceedings of the SIGCHI Conference on Human Factors in Computing Systems (pp. 245–252). New York, NY, USA: ACM.</ref> এছাড়াও, উচ্চ বিদ্যালয়ের জ্যামিতি ক্লাসে যারা সমস্যা সমাধানের জন্য জ্যামিতি প্রমাণ টিউটর (GPT) ব্যবহার করেছে তারা পরবর্তীতে নেওয়া পরীক্ষায় ঐসব শিক্ষার্থীদের চেয়ে বেশি নম্বর পেয়েছে যারা প্রচলিত ক্লাসরুম কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেছিল।<ref name=":36">Koedinger, K. R., & Corbett, A. (2006). Cognitive tutors. The Cambridge handbook of the learning sciences, 61-77.</ref>
=== কগনিটিভ টিউটরের একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ ===
১৯৮৫ সালে, অ্যান্ডারসন, বয়েল এবং রেইগসার বুদ্ধিমান টিউটরিং সিস্টেমে কগনিটিভ সাইকোলজির শাখাটি যুক্ত করেন। সেই সময় থেকে, বুদ্ধিমান টিউটরিং সিস্টেম এই পদ্ধতিকে গ্রহণ করে শিক্ষার্থীদের জ্ঞান অর্জনের জন্য কগনিটিভ মডেল নির্মাণ করে। এর নাম দেওয়া হয় কগনিটিভ টিউটর।<ref name=":343" /> সবচেয়ে বহুল ব্যবহৃত কগনিটিভ টিউটর হলো কগনিটিভ_টিউটর® Algebra I।<ref name=":362" /> কার্নেগি লার্নিং, ইনকর্পোরেটেড। এর মালিকানাধীন ট্রেডমার্ক এটি, তারা পূর্ণাঙ্গ কগনিটিভ_টিউটর® বিকাশ করছে। এর মধ্যে রয়েছে বীজগণিত I, II, বীজগণিতের সেতু, জ্যামিতি, এবং সমন্বিত গণিত I, II, III। কগনিটিভ_টিউটর® এখন স্প্যানিশ মডিউলও অন্তর্ভুক্ত করেছে।
কগনিটিভ টিউটর শেখার প্রক্রিয়াকে “কাজ করে শেখা”-এর ধারণাকে সমর্থন করে। এটি মানবিক টিউটরিংয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যভিত্তিক দক্ষতা বা ধারণা প্রয়োগের সুযোগ ও বিষয়বস্তুভিত্তিক প্রতিক্রিয়া প্রদান করে।<ref name=":362" /> শিক্ষার্থীদের পারফরম্যান্স পর্যবেক্ষণের জন্য, কগনিটিভ টিউটর দুটি ''[[চিন্তন ও নির্দেশনা/সমস্যা সমাধান, সমালোচনামূলক চিন্তন ও যুক্তি#glos Algorithms|অ্যালগরিদম]]'' ব্যবহার করে — মডেল ট্রেসিং ও নলেজ ট্রেসিং। মডেল ট্রেসিং তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া প্রদান করে এবং শিক্ষার্থীর প্রতিটি ধাপে নির্দিষ্ট বিষয়বস্তুভিত্তিক পরামর্শ দেয়।<ref name=":343" /> নলেজ ট্রেসিং ব্যবহারকারীর পূর্বজ্ঞান অনুসারে প্রতিটি ব্যবহারকারীর জন্য উপযুক্ত কাজ নির্বাচন করে যাতে তারা মাস্টারি লার্নিং অর্জন করতে পারে।<ref name=":343" /><ref name=":362" />
কগনিটিভ টিউটর বিভিন্ন পাঠ্যক্রম বা বিষয়ে তৈরি এবং প্রয়োগ করা যায় শিক্ষার্থীদের শেখায় সহায়তা করার জন্য, এবং ক্লাসরুম লার্নিং-এ অভিযোজিত সফটওয়্যার হিসেবে সংযুক্ত করা যায়। এই পাঠ্যক্রম ও বিষয়গুলির মধ্যে রয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের গণিত,<ref name=":333" /> <ref name=":352" /> <ref>Koedinger, K. R. (2002). Toward evidence for instructional design principles: Examples from Cognitive Tutor Math 6. In Proceedings of PME-NA XXXIII (The North American Chapter of the International Group for the Psychology of Mathematics Education).</ref> উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জেনেটিকস,<ref>Corbett, A., Kauffman, L., Maclaren, B., Wagner, A., & J,.ones, E. (2010). A Cognitive Tutor for genetics problem solving: Learning gains and student modeling. Journal of Educational Computing Research, 42(2), 219–239.</ref> এবং প্রোগ্রামিং।<ref name=":343" /><ref name=":352" /><ref>Corbett, A. T., & Anderson, J. R. (2008). Knowledge decomposition and sub-goal reification in the ACT programming tutor. Department of Psychology, 81.</ref><ref>Corbett, A. T., & Bhatnagar, A. (1997). Student modelling in the ACT programming tutor: Adjusting a procedural learning model with declarative knowledge. In User modelling (pp. 243-254). Springer Vienna.</ref>
কগনিটিভ টিউটর শ্রেণীকক্ষ, শিক্ষার্থীদের উৎসাহ এবং অর্জনে বিশাল প্রভাব ফেলেছে।<ref>Corbett, A. (2002). Cognitive tutor algebra I: Adaptive student modelling in widespread classroom use. In Technology and assessment: Thinking ahead. proceedings from a workshop (pp. 50-62).</ref> কগনিটিভ টিউটরের কার্যকারিতা সম্পর্কে গবেষণার প্রমাণগুলো ইঙ্গিত করে, এটি শ্রেণীকক্ষ শিক্ষার তুলনায় অধিক কার্যকর।<ref name=":343" /><ref>Koedinger, K. R. & Anderson, J. R. (1993). Effective use of intelligent software in high school math classrooms. In Proceedings of the World Conference on Artificial Intelligence in Education, (pp. 241-248). Charlottesv</ref><ref>Koedinger, K., Anderson, J., Hadley, W., & Mark, M. (1997). Intelligent tutoring goes to school in the big city. Human-Computer Interaction Institute.</ref><ref name=":352" />
=== কগনিটিভ টিউটরের তাত্ত্বিক পটভূমি ===
==== [http://en.wikibooks.org/wiki/Cognition_and_Instruction/Long-Term_Memory#The_ACT-R_Theory ACT-R তত্ত্ব] ====
কগনিটিভ টিউটরের তাত্ত্বিক পটভূমি হলো ACT-R তত্ত্ব অফ লার্নিং অ্যান্ড পারফরম্যান্স। এটি প্রক্রিয়াগত জ্ঞান এবং ঘোষণামূলক জ্ঞানের মধ্যে পার্থক্য করে।<ref name=":343" /> ACT-R তত্ত্ব অনুযায়ী, প্রক্রিয়াগত জ্ঞান সরাসরি মানুষের মাথায় ঢোকানো যায় না, এবং এটি if-then ''[[চিন্তন ও নির্দেশনা/সমস্যা সমাধান, সমালোচনামূলক চিন্তন ও যুক্তি#glos গুণন|গুণন]]'' বিধির মাধ্যমে উপস্থাপন করা যায়। প্রক্রিয়াগত জ্ঞান অর্জনের একমাত্র উপায় হলো কাজ করে শেখা।
==== [http://en.wikibooks.org/wiki/Cognition_and_Instruction/Long-Term_Memory#Production_Rule_Models_of_Memory প্রোডাকশন রুলস] ====
প্রোডাকশন রুলস দেখায় কিভাবে শিক্ষার্থীরা, তারা নতুন হোক বা অগ্রসর, একটি নির্দিষ্ট বিষয় বা ক্ষেত্রে চিন্তা করে।<ref name=":343" /> প্রোডাকশন রুলস শিক্ষার্থীদের অনানুষ্ঠানিক বা স্বতঃসিদ্ধ চিন্তাভাবনাকে উপস্থাপন করতে পারে।<ref>Koedinger, K. R., & Corbett, A. (2006). Cognitive tutors. The Cambridge handbook of the learning sciences, 61-77.</ref> এই অনানুষ্ঠানিক বা স্বতঃসিদ্ধ চিন্তাভাবনা সাধারণত পাঠ্যপুস্তকে শেখানো ধারণার চেয়ে ভিন্ন হয়, এবং শিক্ষার্থীরা স্কুলের বাইরেও এমন চিন্তার ধরন অর্জন করতে পারে।<ref>Resnick, L. B. (1987). Learning in school and out. Educational Researcher, 16(9), 13-20.</ref> সমস্যার সমাধানে নির্দিষ্ট অপারেশনের পরিবর্তে একটি পরিকল্পনা প্রদান করা যেমন হিউরিস্টিক পদ্ধতি;<ref>Polya, G. (1957). How to Solve It: A New Aspect of Mathematical Method. (2nd ed.). Princeton, NJ: Princeton University Press.</ref> এবং বিকল্প কৌশল যেমন প্রতীক ছাড়াও গ্রাফিক্স ব্যবহার করে সমীকরণ সমাধান করাও<ref name=":362" /> প্রোডাকশন রুলের মাধ্যমে উপস্থাপন করা যায়।
==== কগনিটিভ মডেল এবং মডেল ট্রেসিং ====
কগনিটিভ মডেল ACT-R তত্ত্ব এবং শিক্ষার্থীদের উপর পরিচালিত গবেষণার উপর ভিত্তি করে গঠিত।<ref name=":362" /> শিক্ষার্থীদের সব সমাধান এবং সাধারণ ভ্রান্ত ধারণাগুলো কগনিটিভ মডেলের প্রোডাকশন সিস্টেমে উপস্থাপিত হয়।
{| border="1" style="background-color:Whitesmoke" cellpadding="10px" cellspacing="8px" align="center"
|একটি বীজগণিতীয় সমীকরণ সমাধানের তিনটি কৌশল
|-
|<blockquote>'''সমীকরণ''': 2(3+X)=10</blockquote><blockquote>'''কৌশল ১''': 2x3+2xX=10</blockquote><blockquote>'''কৌশল ২''': 2(3+X)÷2=10÷2</blockquote><blockquote>'''কৌশল ৩''': 2x3+X=10</blockquote>
|}
উদাহরণস্বরূপ, 2(3+X)=10 এই বীজগণিতীয় সমীকরণ সমাধানের তিনটি কৌশল রয়েছে। কৌশল ১ হলো ২ দ্বারা (3+X) গুণ করা; কৌশল ২ হলো উভয় পাশে ২ দ্বারা ভাগ করা; কৌশল ৩ হলো ২ দ্বারা শুধু ৩ গুণ করে X কে গুণ না করে ভুল ধারণা প্রদর্শন করা। যেহেতু প্রতিটি কাজের একাধিক পদ্ধতি থাকতে পারে, শিক্ষার্থীরা তাদের সুবিধামত সমাধান পদ্ধতি বেছে নিতে পারে।
মডেল ট্রেসিং একটি অ্যালগরিদম যা শিক্ষার্থীদের শেখার প্রতিটি ধাপ অনুসরণ করতে পারে এবং তাত্ক্ষণিক, প্রসঙ্গভিত্তিক প্রতিক্রিয়া প্রদান করে। যদি শিক্ষার্থী সঠিক উত্তর বেছে নেয়, যেমন কৌশল ১ বা কৌশল ২ ব্যবহার করে সমাধান করে, কগনিটিভ_টিউটর® এটি গ্রহণ করে এবং শিক্ষার্থীকে পরবর্তী কাজ দেয়। যদি শিক্ষার্থীর ভুলটি একটি সাধারণ ভ্রান্ত ধারণার সঙ্গে মিলে যায়, যেমন কৌশল ৩, কগনিটিভ_টিউটর® এটিকে ভুল হিসেবে চিহ্নিত করে এবং তাৎক্ষণিকভাবে পরামর্শ দেয়, যেমন: "X-কে ২ দ্বারা গুণ করাও প্রয়োজন।" যদি শিক্ষার্থীর ভুল কোনো প্রোডাকশন রুলের সঙ্গে না মেলে, অর্থাৎ উপরোক্ত কোনো কৌশল ব্যবহার না করে, তাহলে কগনিটিভ_টিউটর® এই ধাপটিকে লাল রঙ ও ইটালিকে একটি ভুল হিসেবে চিহ্নিত করে। সমস্যার সমাধান করার সময় শিক্ষার্থীরা যে কোনো সময়ে সাহায্য বা ইঙ্গিত চাইতে পারে। করবেটের মতে,<ref name=":352" /> তিনটি স্তরের পরামর্শ রয়েছে: প্রথমত, একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য অর্জনের পরামর্শ; দ্বিতীয়ত, সেই লক্ষ্য অর্জনের জন্য সাধারণ ধারণা প্রদান; এবং তৃতীয়ত, বর্তমান প্রসঙ্গে সমস্যার সমাধান সম্পর্কে বিস্তারিত পরামর্শ।
==== নলেজ ট্রেসিং ====
নলেজ ট্রেসিং সমস্যার সমাধান প্রক্রিয়ায় শিক্ষার্থীদের ক্রমবর্ধমান প্রোডাকশন রুলস পর্যবেক্ষণ করতে পারে। প্রতিটি শিক্ষার্থী সমস্যার প্রতিটি ধাপে একটি প্রোডাকশন রুল নির্বাচন করতে পারে, এবং কগনিটিভ টিউটর শিক্ষার্থী ঐ নির্দিষ্ট রুল শিখেছে কিনা, তার সম্ভাব্যতা আপডেট করে হিসাব করতে পারে।<ref name=":352" /><ref name=":362" /> এই সম্ভাব্যতা অনুমানসমূহ সফটওয়্যারের ইন্টারফেসে স্কিল-মিটার-এ দেখানো হয়। এই অনুমান ব্যবহার করে কগনিটিভ টিউটর শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত চাহিদার ভিত্তিতে উপযুক্ত কাজ বা সমস্যা নির্বাচন করতে পারে।
=== কার্যকারিতা ===
==== কগনিটিভ টিউটর® জ্যামিতি ====
অ্যালেভেন এবং কোয়েডিঙ্গার দুটি পরীক্ষা পরিচালনা করেছিলেন যাতে দেখা যায় কগনিটিভ টিউটর® কি উচ্চ বিদ্যালয়ের জ্যামিতি ক্লাসে আত্ম-ব্যাখ্যাকে কার্যকরভাবে সহায়তা করতে পারে কিনা।<ref name=":334" /> গবেষণার ফলাফল ইঙ্গিত দেয় যে “কগনিটিভ টিউটর® ব্যবহারে সমস্যা-সমাধানের অনুশীলন তখনই আরও কার্যকর হয় যখন শিক্ষার্থীরা তাদের পদক্ষেপগুলোর ব্যাখ্যা সমস্যা-সমাধানের নীতিগুলোর মাধ্যমে দেয়।”<ref name=":33 page"><Aleven, V. A. W. M. M., & Koedinger, K. R. (2002). An effective metacognitive strategy: learning by doing and explaining with a computer-based Cognitive Tutor. Cognitive Science, 26(2), 147–179. p. 173</ref>
জ্যামিতি শেখার ক্ষেত্রে এটি তখন ঘটে যখন শিক্ষার্থীদের পূর্বজ্ঞানভিত্তিক উৎপাদন নিয়মগুলো অতিরঞ্জিত হয়। এর ফলে তারা তথ্যকে ভাসাভাসাভাবে গ্রহণ করে এবং শেখে। উদাহরণস্বরূপ, একটি শিক্ষার্থী সঠিক উত্তর বেছে নিয়ে পরবর্তী ধাপে চলে যেতে পারে এমন একটি অতিরঞ্জিত নিয়ম অনুসরণ করে—''যদি একটি কোণ অন্য একটি কোণের মতো দেখায়, তবে সেটি সমান''—প্রকৃত বোঝাপড়া ছাড়াই। অ্যালেভেন এবং কোয়েডিঙ্গার অনুযায়ী, আত্ম-ব্যাখ্যার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা আরও সাধারণ রূপে নিয়মগুলোর ব্যাখ্যা করতে শেখে এবং এটি তাদের আরও গভীরভাবে চিন্তা করতে এবং জ্যামিতি বিষয়ক নিয়মগুলোর ওপর স্পষ্টভাবে প্রতিফলন করতে উৎসাহিত করে।<ref name=":334" />
গবেষণার অন্তর্ভুক্ত সকল জ্যামিতির ক্লাসে ছিল শ্রেণিকক্ষ আলোচনা, ক্ষুদ্র-দলীয় কার্যক্রম, বক্তৃতা এবং কগনিটিভ টিউটর® ব্যবহারে সমস্যা সমাধান। উভয় পরীক্ষায়, শিক্ষার্থীদের কগনিটিভ টিউটর® এর সাহায্যে সমস্যা সমাধান করতে হয়েছে। তবে কগনিটিভ টিউটর®-এর দুটি আলাদা সংস্করণ ব্যবহার করা হয়েছে—নতুন সংস্করণটি আত্ম-ব্যাখ্যাকে সহায়তা করতে পারে, যেটি "কাজ এবং ব্যাখ্যার মাধ্যমে শিক্ষণ পরিচালিত করা" নামেও পরিচিত,<ref name=":334" /> আর অন্যটি পারে না। নতুন সংস্করণে এমন অতিরিক্ত বৈশিষ্ট্য ছিল যা শিক্ষার্থীদের প্রতিটি ধাপকে যুক্তিযুক্ত করতে জ্যামিতির নীতিমালা প্রবেশ করানো অথবা অনলাইন গ্লসারির সঙ্গে সেগুলোর সংযোগ করানো বাধ্যতামূলক করেছিল, একইসঙ্গে শিক্ষার্থীরা তাদের পছন্দ অনুযায়ী ব্যাখ্যা এবং সমাধান দিতে পারত। নতুন সংস্করণের ব্যাখ্যার ধরনটি কথ্য ব্যাখ্যার চেয়ে আলাদা ছিল। এটি আত্ম-ব্যাখ্যাবিষয়ক আরেকটি পরীক্ষায় উল্লেখ করা হয়েছে। গবেষকরা দেখতে পান। এরা নতুন সংস্করণ ব্যবহার করেছে তারা শুধু যে আরও নিখুঁতভাবে ব্যাখ্যা দিতে পেরেছে তা-ই নয়, বরং তারা জ্যামিতি বিষয়ে আরও গভীরভাবে নিয়মগুলো বুঝতে পেরেছে। ফলে, তারা সেই শেখা নিয়মগুলো নতুন পরিস্থিতিতেও প্রয়োগ করতে পেরেছে এবং ভাসাভাসা শেখা এড়াতে সক্ষম হয়েছে।
==== জেনেটিক্স কগনিটিভ টিউটর ====
করবেট ও সহকর্মীরা (২০১০) জেনেটিক্স কগনিটিভ টিউটর-এর দুটি মূল্যায়ন পরিচালনা করেন আমেরিকার ১২টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৭ ধরণের জীববিজ্ঞান কোর্সে। গবেষণায় দেখা গেছে, পোস্ট-সেকেন্ডারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জেনেটিক্স সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে জেনেটিক্স কগনিটিভ টিউটর ব্যবহার কার্যকর ছিল।<ref>Corbett, A., Kauffman, L., Maclaren, B., Wagner, A., & Jones, E. (2010). A Cognitive Tutor for genetics problem solving: Learning gains and student modelling. Journal of Educational Computing Research, 42(2), 219–239.</ref>
প্রথম মূল্যায়নে, অংশগ্রহণকারীরা ক্লাস কার্যক্রম অথবা হোমওয়ার্ক হিসেবে জেনেটিক্স কগনিটিভ টিউটর ব্যবহার করে। সফটওয়্যারটিতে ১৬টি মডিউল রয়েছে এবং এতে প্রায় ১২৫টি সমস্যা পাঁচটি সাধারণ জেনেটিক বিষয়ের উপর ভিত্তি করে। জেনেটিক্স কগনিটিভ টিউটর জেনেটিক্স সমস্যা সমাধানের জন্য ধাপে ধাপে সহায়তা দেয় এবং এতে উভয় মডেল ট্রেসিং এবং নলেজ ট্রেসিং ব্যবহার করা হয়। প্রাক-পरीক্ষণের গড় সঠিকতার হার ছিল ৪৩% এবং পরবর্তী পরীক্ষায় তা বেড়ে হয় ৬১%, অর্থাৎ গড় উন্নতি ছিল ১৮%। দ্বিতীয় মূল্যায়নে গবেষকরা খতিয়ে দেখেন, জ্ঞান ট্রেসিং অ্যালগরিদম শিক্ষার্থীদের জ্ঞানের সঠিক পূর্বাভাস দিতে পারে কিনা। ফলাফল অনুযায়ী, অ্যালগরিদমটি কাগজ-কলমভিত্তিক পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের পারফরম্যান্স যথাযথভাবে পূর্বানুমান করতে সক্ষম।
== প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা এবং নকশা চিন্তন ==
=== বাস্তব জীবনের সমস্যার সমাধানে তাত্ত্বিক চিন্তা ===
''[[চিন্তন ও নির্দেশনা/সমস্যা সমাধান, সমালোচনামূলক চিন্তন ও যুক্তি#glos Project Project Based Learning|প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা]]'' একটি ধারণা যা শিক্ষার্থীকে শিক্ষার কেন্দ্রে স্থাপন করার উদ্দেশ্যে তৈরি। এই শিক্ষায় শিক্ষার্থীকে একটি জটিল চ্যালেঞ্জ বা প্রশ্নের উত্তরে দীর্ঘ সময় ধরে অনুসন্ধানমূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করতে উৎসাহিত করা হয়। প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষার উদ্দেশ্য হল শিক্ষার্থী যেন পাঠ্যক্রম অনুসরণ করার পাশাপাশি তাদের বিদ্যমান জ্ঞান ব্যবহার করে সমস্যার সমাধান খুঁজে বের করতে পারে। মূলত, এটি এমন একটি কার্যকলাপ যেখানে শিক্ষার্থীরা বাস্তব জীবনের সমস্যা বা ইস্যুর উপর ভিত্তি করে একটি বিষয় সম্পর্কে ধারণা তৈরি করে এবং তাদের শিক্ষাক্রমের নকশা করায় এক ধরনের দায়িত্ব পালন করে<ref>Morgan, Alistar. (1983). Theoretical Aspects of Project-Based Learning in Higher Education. British Journal of Educational Technology, 14(1), 66-78.</ref>। ব্লুমেনফেল্ড প্রমুখ (১৯৯১) উল্লেখ করেছেন যে প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা শিক্ষার্থীকে তাদের মূল প্রশ্ন, কার্যকলাপ এবং তৈরি করা শিল্পকর্মের প্রক্রিয়ার প্রতি দায়িত্ববান করে তোলে<ref name=":48">Blumenfeld, Phyllis C., Elliot Soloway, Ronald W. MArx, Joseph S. Krajick, Mark Guzdial, Annemarie Palincsar.. (1991). Motivating Project-Based Learning: Sustaining the Doing, Supporting the Learning. Educational Psychologist, 26(3&4), 369-398.</ref>।
প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা পাঁচটি নির্দিষ্ট মানদণ্ডের উপর ভিত্তি করে তৈরি<ref name=":37">Thomas, John W. (2000). A Review of Research on Project-Based Learning. San Rafael: Autodesk Press.</ref>:
{| border="1"
|+'''প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষার বৈশিষ্ট্য'''
|প্রকল্পগুলো পাঠ্যক্রমের কেন্দ্রবিন্দু বা প্রান্তবর্তী যে কোন অংশে হতে পারে।
|-
|প্রকল্পগুলো এমন প্রশ্ন বা সমস্যার উপর ভিত্তি করে তৈরি যা শিক্ষার্থীদের একটি নির্দিষ্ট বিষয়ের মূল ধারণা ও নীতির মুখোমুখি করে এবং সেখানে সংগ্রাম করতে বাধ্য করে।
|-
|প্রকল্পগুলো শিক্ষার্থীদের গঠনমূলক অনুসন্ধানে সম্পৃক্ত করে।
|-
|প্রকল্পগুলো কিছুটা হলেও শিক্ষার্থী পরিচালিত হয়।
|-
|প্রকল্পগুলো বাস্তবধর্মী হয়, শুধু বিদ্যালয়ভিত্তিক নয়।
|}
[[চিত্র:Problem_Based_Learning_vs_Project_Based_Learning.png|থাম্ব|প্রকৃত এবং কার্যকর সমাধান উপস্থাপনে শিক্ষার্থীদের চ্যালেঞ্জ জানায় প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা।]]
এই ধরনের চ্যালেঞ্জগুলি বাস্তব জীবনের প্রাসঙ্গিক সমস্যা নিয়ে গঠিত। এটি শিক্ষার্থীদের অনুসন্ধান প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সম্পৃক্ত করে এবং সক্রিয় বা অভিজ্ঞতালব্ধ শিক্ষার মাধ্যমে তাদের ধারণা প্রকাশে সক্ষম করে। উদাহরণস্বরূপ, প্রাথমিক বা মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের শিক্ষকের পক্ষ থেকে স্কুলে কম্পোস্ট সমস্যা সমাধানের জন্য বলা হতে পারে। শিক্ষার্থীদের দলবদ্ধভাবে গবেষণা, নির্মাণ এবং তাদের আইডিয়া প্রদর্শনের নির্দিষ্ট মানদণ্ডের মধ্যে থেকে সমাধান বের করতে উৎসাহিত করা হবে। এখানে তারা দীর্ঘ সময় ধরে বিষয়বস্তুর সাথে মানসিকভাবে যুক্ত থাকবে এবং আগ্রহ ধরে রাখবে<ref name=":48" />। ফলাফল হবে একটি জটিল শিক্ষা প্রক্রিয়া যার সফলতা কেবল অংশগুলোর যোগফল নয় বরং সামগ্রিকতায় নিহিত<ref name=":38">van Merriënboer, J. J. G., Clark, R. E., & de Croock, M. B. M. (2002). Blueprints for complex learning: The 4C/ID-model. Educational Technology Research and Development, 50(2), 39–61. doi:10.1007/bf02504993.</ref>। প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষার লক্ষ্য হলো জ্ঞান, সহযোগিতা এবং একটি চূড়ান্ত প্রকল্প উপস্থাপনের দক্ষতা সমন্বয় করা। এই ধরণের স্কিমা নির্মাণ শিক্ষার্থীদের বাস্তব প্রশিক্ষণ ব্যবহার করে কার্যকর ফলাফল তৈরিতে সাহায্য করে। শিক্ষার্থী পূর্ববর্তী জ্ঞান ব্যবহার করে নতুন তথ্যের সাথে সংযুক্ত হয় এবং একটি বিষয় সম্পর্কে তার ধারণাকে সম্প্রসারিত করে<ref name=":38" />। প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষায় এই প্রক্রিয়াটি তথ্য সংগ্রহ, দলগত আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং সমাধান তৈরি করার মাধ্যমে সম্পন্ন হয়।
সমস্যা ভিত্তিক শিক্ষার চেয়ে প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষায় নির্মাণবাদী শিক্ষার দর্শনের ভিত্তিতে অভিজ্ঞতালব্ধ শেখাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়। এখানে শিক্ষার্থীরা একটি নির্দিষ্ট চালিকাশক্তি প্রশ্নের উত্তরে বাস্তব সমাধানের দিকে অগ্রসর হয়ে তাদের জ্ঞানের পরিমাণ প্রকাশ করে। অভিজ্ঞতালব্ধ শিক্ষার এই দার্শনিক ভিত্তি এসেছে জন ডিউই এর “এডুকেশন অ্যান্ড এক্সপেরিয়েন্স” (শিক্ষা ও অভিজ্ঞতা) নামক গ্রন্থ থেকে। ডিউই মনে করতেন যে অভিজ্ঞতা একটি ধারাবাহিক শেখার প্রক্রিয়া। এটি কৌতূহল জাগায়, উদ্যোগ বৃদ্ধি করে এবং শিক্ষার্থীকে আরও জ্ঞানের দিকে এগিয়ে নিয়ে যায়<ref name=":39">Dewey, J. (1938). Experience and education. New York: Macmillan.</ref>। প্রকৃত সমস্যার সমাধানে কাজ করার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সমাধানকে বাস্তব কাঠামোর সঙ্গে যুক্ত করে এই অভিজ্ঞতালব্ধ শিক্ষা। শিক্ষার্থীদের অবশ্যই তাদের জ্ঞানের অভাব পূরণ করতে হয় গবেষণা ও দলগত সহযোগিতার মাধ্যমে। প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষায় অভিজ্ঞতা নির্ভর শেখা একটি চালিকাশক্তি প্রশ্নের উপর কেন্দ্রীভূত থাকে। এটি সাধারণত শিক্ষক কর্তৃক নির্ধারিত। শিক্ষার্থীরা এই প্রশ্নের উত্তর দিতে একটি নকশা করা শিল্পকর্ম তৈরি করে অর্জিত জ্ঞান উপস্থাপন করে।
প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষার নির্মাণবাদী পদ্ধতি শিক্ষক কর্তৃক পরিচালিত গাইডেড ডিসকভারি পদ্ধতির মাধ্যমে পরিচালিত হয়। এখানে বিশুদ্ধ স্বাধীন অনুসন্ধান। এটি অনেক সময় শিক্ষার্থীদের খুব বেশি স্বাধীনতা দেওয়ার জন্য সমালোচিত। এক্ষেত্রে এটি এড়িয়ে নির্দিষ্ট একটি প্রশ্নের মাধ্যমে শিক্ষার পথ নির্ধারণ করা হয়<ref name=":40">van Merrienboer, J. J. G., Paul A. Kirschner, & Liesbeth Kester. (2004). Taking the Load off a Learner’s Mind: Instructional Design for Complex Learning. Amsterdam: Open University of the Netherlands.</ref>। এই ধরনের নির্মাণবাদী শিক্ষাপদ্ধতি শিক্ষার্থীদের চিন্তন প্রক্রিয়া উন্নত করতে কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে<ref name=":40" />। প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা শিক্ষার্থীদের শেখানো প্রশ্নের উত্তর নিজেরা বের করতে উৎসাহিত করে এবং সেই সঙ্গে অনুসন্ধান, বিশ্লেষণ এবং উপস্থাপনার জন্য একটি কাঠামো প্রদান করে। ফলে, প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা নির্বাচন, সংগঠন এবং জ্ঞান একীভূত করার মাধ্যমে তাৎপর্যপূর্ণ ও মানসিকভাবে উপকারী শেখার সুযোগ তৈরি করে<ref name=":40" />।
=== অভিজ্ঞতা হল শেখার ভিত্তি ===
প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা শিক্ষার একটি শাখা যা কাজের মাধ্যমে শেখাকে গুরুত্ব দেয়। জন ডিউই উল্লেখ করেছেন যে শিক্ষক ও বিদ্যালয়গুলোকে অভিজ্ঞতা ও নির্মাণবাদী পদ্ধতির মাধ্যমে তত্ত্ব ও বাস্তব জীবনের মধ্যে সম্পর্ক গভীর করতে শিক্ষার্থীদের সাহায্য করা উচিত। ডিউই বলেছেন, শিক্ষার মধ্যে অভিজ্ঞতার ধারাবাহিকতা ও শিক্ষা গণতন্ত্রায়নের একটি ধারা থাকা উচিত যাতে মানব অভিজ্ঞতার মান উন্নত হয়<ref name=":39" />। এই দুটি উপাদান প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এখানে বাস্তব সমস্যা নিরসনে সমাধান উপস্থাপন এবং দলগত সহযোগিতার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের নিজস্ব সমাধান খোঁজার সুযোগ থাকে। ব্লুমেনফেল্ড প্রমুখ উল্লেখ করেছেন যে প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষার মূল্য নিহিত শিক্ষার্থীদের সাথে সম্পর্কিত প্রশ্নে — যেমন ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য, সমাজের সমস্যা, বা চলমান ঘটনাবলীতে<ref name=":48" />।
প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষার ভিত্তি জঁ পিয়াজের চিন্তায়ও রয়েছে, যিনি মনে করতেন যে শিক্ষার্থীরা পূর্ববর্তী জ্ঞানকে ভিত্তি করে নতুন কিছু শিখে এবং সেই সাথে নতুন সংযোগ তৈরি করে সর্বোত্তমভাবে শিখে। শিক্ষার্থীর বুদ্ধিমত্তা গঠিত হয় তার পরিবেশের উপাদানগুলো আত্মস্থ করে, এবং বিভিন্ন নতুন স্কিমাকে গ্রহণ করে পূর্ব ধারণাকে পরিবর্তন করে<ref>Piaget, Jean; Cook, Margaret (Trans). The construction of reality in the child. New York, NY, US: Basic Books The construction of reality in the child. (1954). xiii 386 pp. http://dx.doi.org/10.1037/11168-000.</ref>। পিয়াজে মনে করতেন, শিক্ষার্থী নিজেরা জ্ঞান আবিষ্কার করতে পারবে, তবে সহযোগিতা ছাড়া তাদের সমাধান সুসংগঠিত হবে না<ref name=":40" />। প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা পিয়াজের এই সম্মিলিত যোগাযোগ ও দলগত শিখনের গুরুত্বকে স্বীকৃতি দেয়।
=== আত্ম-প্রণোদনা শিক্ষার্থীর শেখাকে এগিয়ে নেয় ===
প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা শিক্ষার্থীদের বিভিন্নভাবে উপকার করে যেমন জ্ঞান অর্জন, যোগাযোগ এবং সৃজনশীলতা বৃদ্ধির মাধ্যমে। একটি নির্দিষ্ট চ্যালেঞ্জে যুক্ত হয়ে শিক্ষার্থীরা গভীরভাবে বিষয়বস্তু অনুধাবন করে। এছাড়া, সহযোগিতামূলক শিক্ষার কারণে যোগাযোগ, নেতৃত্ব এবং সামাজিক দক্ষতা বাড়ে। শিক্ষার্থীরা বিষয়বস্তু দীর্ঘ সময় ধরে মনে রাখতে পারে এবং কী শিখছে তা ভালোভাবে বোঝে। প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষাকে সমর্থন করার জন্য কমপক্ষে চারটি জ্ঞানতাত্ত্বিক ক্ষেত্র আছে<ref name=":37" /> – প্রণোদনা, দক্ষতা, প্রাসঙ্গিকতা, এবং প্রযুক্তি।
[[চিত্র:Ashs-impact_projects.ogv|থাম্ব|শিক্ষার্থীরা তাদের প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষার মডেল নিয়ে প্রেরণার কথা বলছে]]
শিক্ষার্থী যদি কোনো বিষয়ের শিখন ও পারদর্শিতার উপর ভিত্তি করে প্রণোদিত হয়, তাহলে তারা দীর্ঘস্থায়ীভাবে তাদের কাজের সাথে যুক্ত থাকে<ref>Ames, C. (1992). Classrooms: goals, structures, and student motivation. Journal of Educational Psychology, 84, 261-271.</ref>। তাই, প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা প্রতিযোগিতার পরিবর্তে সহযোগিতামূলক লক্ষ্য নির্ধারণ করে। এটিতে ব্যক্তিগত শিক্ষার্থীরা হুমকির সম্মুখীন না হয় এবং শেখায় মনোনিবেশ করতে পারে<ref name=":37" />। প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা শিক্ষার্থীদের এমনভাবে পরিকল্পনা করে যাতে তারা একসাথে লক্ষ্য অর্জন করতে পারে, ভয় বা সমালোচনার ভীতি ছাড়াই। উদাহরণস্বরূপ, হেল্লে প্রমুখ একটি গবেষণায় তথ্য ব্যবস্থা নকশা বিষয়ে শিক্ষার্থীদের সাত মাসব্যাপী একটি প্রকল্পে কাজ করতে দেন। শিক্ষার্থীদের একটি প্রশ্নপত্রের মাধ্যমে তাদের প্রেরণার মাত্রা পরিমাপ করা হয়। গবেষণায় দেখা যায় প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে অন্তর্নিহিত প্রেরণা ০.৫২ স্ট্যান্ডার্ড ডেভিয়েশন বৃদ্ধি পেয়েছে। এটি ইঙ্গিত দেয় প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষার্থীরা আত্মপ্রণোদনার মাধ্যমে কাজ সম্পন্ন করে। বিশেষভাবে। এটিদের আত্মনিয়ন্ত্রণ কম ছিল তাদের মধ্যে প্রেরণা আরও বেশি বেড়েছে<ref>Helle, Laura, Paivi Tynjara, Erkki Olkinora, Kristi Lonka. (2007). “Aint nothin’ like the real thing”. Motivation and study processes on a work-based project course in information systems design. ''British Journal of Educational Psychology,'' 70(2), 397-411.</ref>।
অনেক শিক্ষার্থীর মাঝে মেটাকগনিশন ও আত্মনিয়ন্ত্রণের অভাব রয়েছে, অথচ শিক্ষার্থীদের বিকাশে এই দক্ষতাগুলোর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে<ref name=":37" />। প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষায় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর সম্পর্কের মাধ্যমে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের উচ্চতর অনুসন্ধান পদ্ধতির মডেল হিসেবে ব্যবহার করে স্ক্যাফোল্ডিং প্রয়োগ করতে পারেন, ফলে মধ্যম ও উচ্চতর শ্রেণির শিক্ষার্থীরা অর্থপূর্ণ শিক্ষা ও পরিপক্ব ফলাফল দিতে সক্ষম হয়<ref name=":49">Joseph Krajcik , Phyllis C. Blumenfeld , Ronald W. Marx , Kristin M. Bass , Jennifer Fredricks & Elliot Soloway (1998) Inquiry in Project-Based Science Classrooms: Initial Attempts by Middle School Students, Journal of the Learning Sciences, 7:3-4, 313-350, DOI: 10.1080/10508406.1998.9672057</ref>। শিক্ষার্থীরা ধীরে ধীরে নিজেদের তৈরি করা দক্ষতার উপর বিশেষজ্ঞে পরিণত হয়।
প্রাসঙ্গিকভাবে, বাস্তব পরিস্থিতির সঙ্গে যত বেশি সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়, ততই পরিবেষ্টিত জ্ঞান কার্যকর হয়<ref name=":372" />। সেই দৃষ্টিকোণ থেকে প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা শিক্ষার্থীদের আত্মবিশ্বাস বাড়ায় যাতে তারা বিদ্যালয়ের বাইরেও অনুরূপ কাজ সফলভাবে করতে পারে। কারণ তারা বিষয়বস্তুকে জ্ঞানের কৃত্রিম সীমানা হিসেবে আর দেখে না। গর্জেস এবং গোকে (২০১৫) একটি অনলাইন জরিপের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের প্রধান প্রধান বিষয়গুলোর দক্ষতার আত্ম-উপলব্ধি এবং বাস্তব জীবনে তা প্রয়োগ করার সম্পর্কটি অনুসন্ধান করেন। শিক্ষার্থীরা সমস্যা সমাধানের দক্ষতা এবং তা বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করার বিষয়ে আত্মবিশ্বাস দেখিয়েছে, যেমন গর্জেস এবং গোকে<ref name=":41">Gorges, Julia, Thomas Goke. (2015). How do I Know what I can do? Anticipating expectancy of success regarding novel academic tasks. ''British Journal of Educational Psyschology,'' 85(1), 75-90.</ref> উল্লেখ করেন। যারা প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা অনুসরণ করেছে, তাদের আত্ম-দক্ষতা এবং গণিত (এসডি .৭৭), ইতিহাস (এসডি .৭২) ইত্যাদি বিষয়গুলোতে দক্ষতা সম্পর্কে আত্ম-ধারণা বৃদ্ধি পেয়েছে<ref name=":41" />। তাই শিক্ষার্থীরা শিক্ষাবহির্ভূত পরিবেশেও বিষয়ভিত্তিক জ্ঞান প্রয়োগে বেশি আত্মবিশ্বাসী হয়। এছাড়া, কোর্স শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এবং ১২ সপ্তাহ থেকে ২ বছরের মধ্যে শিক্ষার্থীদের তুলনায় প্রাপ্ত ফলাফল থেকে বোঝা যায়, প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা জ্ঞান ধরে রাখতে অনেক বেশি সহায়ক<ref name=":41" />।
প্রযুক্তির ব্যবহার শিক্ষার্থীদের একটি বেশি বাস্তব অভিজ্ঞতা দেয়। কারণ এতে ডেটা, ব্যাপক ইন্টারঅ্যাকশন এবং সহযোগিতা থাকে, এবং বাস্তব দুনিয়ায় ব্যবহৃত সামগ্রীর অনুকরণ করে<ref name=":372" />। প্রযুক্তির মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা থেকে আরও বেশি উপকার পায়। কারণ এতে জ্ঞান অনুসন্ধানে স্বায়ত্তশাসন এবং দলের সদস্যদের সঙ্গে সংযোগ তৈরি হয়। শিক্ষার্থীরা সৃজনশীল হয়। কারণ তাদের প্রকৃত সমস্যার জন্য নতুন নতুন সমাধান বের করতে হয়। উদাহরণস্বরূপ, হাং ও হোয়াং-এর মতে<ref>Hung, C.-M., Hwang, G.-J., & Huang, I. (2012). A Project-based Digital Storytelling Approach for Improving Students' Learning Motivation, Problem-Solving Competence and Learning Achievement. ''Educational Technology & Society'', 15 (4), 368–379. </ref>, প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা-এর আওতায় ডিজিটাল স্টোরিটেলিং ব্যবহার করে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গ্লোবাল ওয়ার্মিং বিষয়ে একটি নির্দিষ্ট প্রশ্নের উত্তর খোঁজার জন্য ছবি সংগ্রহ করার কাজ পরীক্ষার ফলাফলে তাৎপর্যপূর্ণ উন্নতি ঘটায় (এসডি ০.৬৪)। শিক্ষার্থীদের জ্ঞান খুঁজে বের করতে সাধারণত বিভিন্ন বিষয়ে পেরিয়ে যেতে হয়, ফলে তারা বহুমাত্রিক জ্ঞান ব্যবহার করে সমস্যার সমাধান তৈরি করে।
=== প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা বাস্তবায়নে শিক্ষকদের প্রাপ্ত চ্যালেঞ্জ ===
এই ধরনের শিক্ষণ পদ্ধতির বিরুদ্ধে প্রধান অভিযোগ হলো, প্রকল্পটি অগোছালো হয়ে যেতে পারে এবং সমস্যা সমাধানের জন্য যথাযথ শ্রেণিকক্ষ সময় নাও থাকতে পারে। অনেক শিক্ষকের মধ্যে প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা উপেক্ষিত হয় কারণ তারা এটি প্রয়োগ করার জন্য প্রশিক্ষণ বা প্রাসঙ্গিক জ্ঞান পায় না। প্রযুক্তির মাধ্যমে কার্যকর মূল্যায়নের জন্য অতিরিক্ত ব্যয় শিক্ষকদের নিরুৎসাহিত করে<ref name=":42">Efstratia, Douladeli. (2014). Experiential education through project based learning. ''Procedia – Social and Behavioral Sciences''. 152, 1256-1260.</ref>। সমালোচকদের মতে, এই তথ্যগুলো বক্তৃতাভিত্তিক পদ্ধতিতেও প্রদান করা যায় এবং ফলাফল ততটাই কার্যকর হতে পারে। এছাড়া, শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষে সময় নষ্ট করতে পারে এবং যদি তারা ক্রমাগত প্রকল্প ও শিক্ষার প্রতি মনোযোগ না দেয়, তবে প্রকল্পটি সফল হবে না। প্রচলিত পদ্ধতিতে শিক্ষা প্রদানকারী শিক্ষকরা প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা-কে চ্যালেঞ্জিং মনে করেন। কারণ এতে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংযোগ রক্ষা এবং সময় ব্যবস্থাপনা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে—যা সকল শিক্ষকের জন্য সহজ নয়<ref name=":42" />। ব্লুমেনফেল্ড প্রমুখ (১৯৯৮) বলেন প্রকৃত সফলতা তখনই আসে, যখন প্রকল্পটি একটি সংগঠিত কাঠামোর মধ্যে হয়। এখানে শিক্ষক মডেলিং, উদাহরণ, কৌশল, নির্দেশিকা প্রদান, কার্যক্রম চলাকালীন প্রতিক্রিয়া এবং কাজ সংশোধনের সুযোগ দেন<ref name=":492" />।
=== শিক্ষার্থীদের সমালোচনামূলক চিন্তনের মাধ্যমে খাঁটি ফলাফলের প্রয়োজন ===
[[চিত্র:Framework_for_21st_Century_Learning.jpg|থাম্ব|একবিংশ শতাব্দীর শিক্ষার কাঠামো]]
প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা বিভিন্ন বিষয়ে প্রযোজ্য, বিশেষ করে একবিংশ শতকের শিক্ষার পুনঃসংজ্ঞায়ন (বিভিন্ন স্তরের, প্রযুক্তিনির্ভর, সহযোগিতামূলক, আন্তঃবিষয়ক) প্রেক্ষাপটে। STEM - Science, Technology, Engineering, Mathematics (বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল, গণিত) একবিংশ শতকের এমন একটি শিক্ষা ক্ষেত্র যেখানে প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা প্রাকৃতিকভাবে বিভিন্ন বিষয়ের মধ্যে সেতুবন্ধন গঠন করে। STEM-এর মূল উদ্দেশ্য হলো মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার চ্যালেঞ্জ এবং প্রকৃত জীবনের দলভিত্তিক জটিল সমস্যা সমাধানে প্রস্তুত করা। স্বাস্থ্য, প্রকৌশল, কম্পিউটার নকশা এবং শিক্ষা সহ অনেক পেশাগত ক্ষেত্র প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা থেকে উপকৃত হতে পারে।
প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জ্ঞান সম্প্রসারণ এবং জটিল পরিস্থিতিতে সফলতা অর্জনের সুযোগ দেয়<ref name=":43">Capraro, R. M., Capraro, M. M., & Morgan, J. (2013). STEM Project-Based Learning: An Integrated Science, Technology, Engineering, and Mathematics (STEM) Approach (2nd Edition). New York, NY: Sense. </ref>। এ ছাড়াও, শিক্ষার্থীরা নিজের শক্তি ও দুর্বলতা সম্পর্কে গভীর উপলব্ধি গড়ে তোলে<ref name=":43" />। ফলাফল হিসেবে একজন শিক্ষার্থী গড়ে ওঠে যে চিন্তাশীল, বিশ্লেষণধর্মী এবং বাস্তব পরিস্থিতিতে তা প্রয়োগে সক্ষম। শিক্ষার্থীর তৈরি চূড়ান্ত পণ্য একটি বাস্তবিক ফলাফল প্রদান করে। এটি দায়িত্বশীলতা এবং প্রকল্পের নির্দেশনা ও সীমাবদ্ধতাকে মান্য করে<ref name=":43" />।
শিক্ষার্থীরা নির্দিষ্ট ফলাফলের দিকে মনোযোগ দেয়, কাজের গণ্ডি বোঝে এবং একটি কার্যকর উপস্থাপনযোগ্য সামগ্রী তৈরি করে। এর মাধ্যমে তারা উচ্চ-প্রযুক্তি, দ্রুতগামী কর্মপরিবেশে কাজ করতে প্রস্তুত হয় যেখানে উদ্ভাবন, সহযোগিতা এবং ফলাফলভিত্তিক কার্যসম্পাদন অপরিহার্য।
প্রযুক্তি এমন একটি ক্ষেত্র যেখানে প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা বাস্তব প্রয়োগে দক্ষতা গড়ে তোলে, ফলে নতুন প্রযুক্তির দ্বারা প্রদত্ত জ্ঞানীয় সরঞ্জামগুলো প্রকল্পে অপরিহার্য হলে তা কার্যকর প্রমাণিত হয়<ref name=":482" />। উদাহরণস্বরূপ, যেসব কম্পিউটার নকশাকাররা পূর্বে থেকে কিছু জ্ঞান রাখেন তারা হয়তো অপারেটিং সিস্টেম ট্রাবলশুট করতে পারেন, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে বিষয়বস্তু কিভাবে একত্রে কাজ করে তা বোঝেন না এবং তাদের দক্ষতা সম্পর্কে ভুল ধারণা থাকে<ref>Gary, Kevin. (2013), Project-Based Learning. ''Computer.'' (Vol 48:9). Tempe: Arizona State. </ref>।
== প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষার একটি উপশ্রেণী হিসেবে নকশা-থিংকিং ==
=== বাস্তব জীবনের সমস্যার সমাধানে ব্যবহারিক নকশার প্রক্রিয়া ব্যবহার ===
[[চিত্র:Design_thinking.png|থাম্ব|নকশা চিন্তন-এ শিক্ষার্থীকে একটি নির্দিষ্ট কাঠামোগত প্রক্রিয়ার মধ্যে কাজ করে একটি নকশা চ্যালেঞ্জ সমাধান করতে হয়]]
''[[চিন্তন ও নির্দেশনা/সমস্যা সমাধান, সমালোচনামূলক চিন্তন ও যুক্তি#glos Design Thinking|নকশা চিন্তন]]'' হলো একটি শিক্ষাদান পদ্ধতি। এটি প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষার একটি শাখা হিসেবে চ্যালেঞ্জভিত্তিক সমস্যা সমাধানের কন্সট্রাকশনিস্ট পদ্ধতিতে শেখানোর উপর ভিত্তি করে তৈরি। এটি এমন একটি শাখার সমন্বয় হিসেবে বোঝা উচিত, যেগুলোর জ্ঞানচর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে নকশা<ref name=":44">Cross, N. (2007). ''Designerly ways of knowing''. Basel, Switzerland: Birkha¨user.</ref>।
নকশা চিন্তনের একটি উদাহরণ হতে পারে, যখন শিক্ষার্থীরা বাস্তব জীবনের কোনো সমস্যার সমাধান খুঁজছে। তবে প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষার চেয়ে এটি একটু ভিন্ন; নকশা চিন্তন শিক্ষার্থীদেরকে একটি নির্দিষ্ট কাঠামোগত প্রক্রিয়ার মধ্যে থেকেই একটি ব্যবহারিক সমাধান তৈরি করতে বলে (চিত্র ৩), যেমন—একটি গ্রামে নিরাপদ পানীয় পানি পৌঁছে দেওয়ার উপায় খুঁজে বের করা। নকশাকাররা সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক দিকগুলো বিবেচনা করবে, তবে তারা এমন একটি কার্যকর প্রোটোটাইপ তৈরি করবে যা বাজারে আনা সম্ভব। ফলে একটি পানির সরবরাহ ব্যবস্থা তৈরি করা যেতে পারে। এটি স্থানীয় উপকরণ, অর্থায়ন এবং নীতিমালার সীমার মধ্যে থেকে কাজ করবে।
এই পদ্ধতিতে সহানুভূতি, সমস্যা সংজ্ঞায়ন, ধারণা তৈরি, প্রোটোটাইপ এবং পরীক্ষা — এই মূলনীতি অনুসরণ করে নকশাের চ্যালেঞ্জ পূরণ করা হয়। এখানে একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য (সমাধান) নিয়ে শুরু করে, নকশার মাধ্যমে সৃজনশীল এবং ব্যবহারিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের ওপর জোর দিয়ে ভবিষ্যতের উন্নত ফলাফল অর্জনের চেষ্টা করা হয়। এটি এমন এক ধরণের চিন্তা প্রক্রিয়া। এখানে সমস্যার সূক্ষ্ম দিকগুলো বিশ্লেষণ করে গোপন উপাদানগুলো খুঁজে বের করা হয় একটি কার্যকর সমাধানের জন্য। অর্জিত লক্ষ্য তখন পরবর্তী লক্ষ্য নির্ধারণ ও সমস্যা সমাধানের জন্য প্রাথমিক ভিত্তি হিসেবে কাজ করে<ref name=":44" />।
[[চিত্র:DesignThinking.ogv|থাম্ব|নকশা চিন্তন - ''শিশুদের ব্যায়ামে উৎসাহ দিতে একটি মুভমেন্ট সেন্সর ডিভাইস নকশা'' করার উদাহরণ]]
এই ধরণের শিক্ষাগত পদ্ধতির ভিত্তি হলো, আধুনিক বিশ্ব আসলে কৃত্রিম গঠনে পূর্ণ, এবং আমাদের সভ্যতা ঐতিহাসিকভাবে এই ধরনের কৃত্রিম জিনিসের ওপর নির্ভর করে প্রযুক্তিগত অগ্রগতি অর্জন করেছে। নকশা চিন্তনের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা হারবার্ট সাইমন বলেন, আজকের শিক্ষার্থীদের ঘেরা বিশ্ব প্রাকৃতিক জগতের চেয়ে অনেক বেশি কৃত্রিম<ref>Simon, H. A. (1996). ''The sciences of the artificial''. Cambridge, MA: MIT Press.</ref>। নকশা চিন্তনের চ্যালেঞ্জ হলো শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল চিন্তাভাবনার ক্ষমতা বাড়িয়ে উদ্ভাবনী দক্ষতা গড়ে তোলা<ref>Aflatoony, Leila & Ron Wakkary, (2015). ''Thoughtful Thinkers: Secondary Schooler’s Learning about Design Thinking.'' Simon Fraser University: Surrey, BC.</ref>।
নকশা চিন্তন একটি টুল হিসেবে ব্যবহৃত হয় প্রচলিত শিক্ষামূলক প্রকল্পগুলোকে প্রকল্প ভিত্তিক চিন্তার কাঠামোয় রূপান্তর করতে। ভ্যান মেরিয়েনবোয়ার (২০০৪) পুরো কাজ অনুশীলনের জন্য নকশা শেখাকে একটি কাঠামো হিসেবে দেখেছেন। এটি শিক্ষার্থীদের জন্য অন্তর্নিহিত জ্ঞানীয় চাপ কমায় এবং তারা সহজ উদাহরণের মাধ্যমে অনুশীলন করতে পারে<ref name=":402" />। এজন্যই নকশা চিন্তন বর্তমানে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। কারণ এটি শিক্ষার্থীর জানা ও শেখার মধ্যে সেতুবন্ধন গড়ে তোলে যা একবিংশ শতাব্দীর দক্ষতা অর্জনের প্রেক্ষাপটে গুরুত্বপূর্ণ। এই প্রক্রিয়ার একটি আরেকটি উদাহরণ হলো এমন একটি পণ্য নকশা করা। এটি শিশুদের শারীরিক কার্যকলাপ বাড়াতে সহায়তা করবে (উপরে উল্লিখিত ভিডিওটি দেখুন)। নিচে নকশা চিন্তনের কাঠামো ব্যবহার করে তা ব্যাখ্যা করা হয়েছে:
{| border="1"
|+'<nowiki/>'''''নকশা চিন্তনের উদাহরণ - শিশুদের ব্যায়ামে উৎসাহ দিতে একটি মুভমেন্ট সেন্সর ডিভাইস তৈরি''''''
!নকশা ধাপ
!ফলাফল
|-
|[[চিত্র:Empathy_-_Design_Thinking.png|কেন্দ্র|ফ্রেমহীন|113x113পিক্সেল]]
|'''মানুষদের থেকে শেখা''' - "কিভাবে একটি মুভমেন্ট সেন্সর ডিভাইস ব্যবহারে আগ্রহ সৃষ্টি করা যায়?" যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে শিশুদের তাদের পছন্দ, অভ্যাস, বিরক্তির কারণ জানাতে বলা হয়। গড়পড়তা শিশুদের পাশাপাশি অতিমাত্রায় সক্রিয় এবং অতি নির্জীব শিশুদেরও সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়। এই চরমপন্থী শিশুরা সাধারণ শিশুদের চাহিদা আরও ভালোভাবে ব্যাখ্যা করতে সক্ষম।
|-
|[[চিত্র:Define_-_Design_Thinking.png|কেন্দ্র|ফ্রেমহীন|111x111পিক্সেল]]
|'''ধরন খোঁজা''' - সাক্ষাৎকারের ফলাফল পোস্ট-ইট নোটে লিখে সংগঠিত করা হয়। এমন ধরন খোঁজা হয় যা সুযোগ তৈরি করে। কেউ কেউ বলেছে তারা খেলাধুলার সময় সামাজিক হতে চায়, আবার কেউ বলেছে তারা ব্যায়ামের সময় অন্যদের সাথে কথা বলতে পছন্দ করে।
|-
|[[চিত্র:Ideate_-_Design_Thinking.png|কেন্দ্র|ফ্রেমহীন|111x111পিক্সেল]]
|'''নকশা নীতিমালা''' - গবেষণার মাধ্যমে কিছু নির্দিষ্ট নকশা নীতিমালা তৈরি করা হয়েছে, যেমন—"সব সময় সামাজিক মিথস্ক্রিয়া সহজ করা", "প্রথমেই পুরস্কার বৃদ্ধি করে অংশগ্রহণ বাড়ানো", "শুধু শিশু নয়, পারিবারিকভাবে সক্রিয় হওয়ার প্রেরণা দেওয়া", "বাড়িতে থাকা শিশুদের প্রতি বিশেষ নজর দেওয়া"। এই নীতিমালাগুলো প্রোটোটাইপ নকশাের দিকনির্দেশনা হিসেবে কাজ করে।
|-
|[[চিত্র:Prototype_-_Design_Thinking.png|কেন্দ্র|ফ্রেমহীন|111x111পিক্সেল]]
|'''বাস্তব রূপ দেওয়া''' - এই নীতিমালাগুলো কিভাবে একটি ব্যবহারযোগ্য পণ্যে রূপান্তর করা যায়? এই নীতিমালার ভিত্তিতে প্রোটোটাইপ তৈরি করা হয়।
|-
|[[চিত্র:Test_-_Design_Thinking.png|কেন্দ্র|ফ্রেমহীন|111x111পিক্সেল]]
|'''পুনরাবৃত্তি করা''' - কাগজ-কলমে ইলেকট্রনিক ডিভাইসের ইন্টারফেসের মকআপ তৈরি করা হয় এবং শক্ত কাগজ ও টেপ ব্যবহার করে যন্ত্র তৈরি করা হয়। শিশুদের জন্য ডিজিটাল ও বাস্তব মডেল তৈরি করে তা পরীক্ষা ও মতামত নেওয়া হয়। চূড়ান্ত ফলাফল হয় একটি পরিশোধিত মডেল। এটি এই প্রতিক্রিয়ার ভিত্তিতে তৈরি।
|}
=== কৃত্রিম জগতে নকশা নিয়ে সমালোচনামূলক চিন্তা ===
নকশা চিন্তনের ইতিহাস নির্দিষ্ট কিছু পণ্ডিতের মাধ্যমে চিহ্নিত করা যায়, যেমন হারবার্ট সাইমন, ডোনাল্ড শন এবং নাইজেল ক্রস। সাইমন ১৯৬৯ সালে শিক্ষার জগতে পেশাগত ফাঁক নিয়ে তার গবেষণা প্রকাশ করেন। তিনি লক্ষ্য করেন, প্রাকৃতিক বিজ্ঞানের মতো, কৃত্রিম জগতে জটিল বিষয়গুলোর সরলতা উদঘাটন করাও বিজ্ঞানীদের মতোই প্রয়োজন<ref name=":45">Koh, Joyce Hwee Ling, Chin Sing Chai, Benjamin Wong, & Huang-Yao Hong. (2015) ''Design Thinking for Education.'' Singapore: Springer Science + Business Media.</ref>। এর মধ্যে শুধু বিজ্ঞান নয়, কলা ও মানববিদ্যার প্রক্রিয়াও অন্তর্ভুক্ত হওয়া উচিত। কারণ সঙ্গীতের মধ্যেও গণিতের মতো কাঠামোগত প্যাটার্ন আছে (সাইমন, ১৩৬)। তাই সবার সৃজনশীল নকশা একটি সাধারণ ভাষা ও তার প্রয়োগের ওপর ভিত্তি করে।
ডোনাল্ড শন, যিনি এমআইটি-তে আরবান প্ল্যানিং ও শিক্ষার ফোর্ড অধ্যাপক ছিলেন, নকশা চিন্তন-কে একটি শিল্প এবং অন্তর্জ্ঞানভিত্তিক সমস্যা সমাধানের প্রক্রিয়া হিসেবে বর্ণনা করেন<ref name=":46">Schon, D. A. (1983). ''The reflective practitioner: How professionals think in action'' (Vol. 5126). New York, NY: Basic Books.</ref>। শন উপলব্ধি করেন, নকশা প্রক্রিয়ার একটি অংশ হলো সেই “ক্রিয়ার মধ্যে প্রতিফলন” যা সমালোচনামূলক চিন্তা ও ধারণা তৈরির সময় আবশ্যক। সমস্যা সমাধানের সমাধান কেবল পাঠ্যবইয়ে থাকে না; বরং নকশাকারদের নিজস্ব প্রেক্ষাপট অনুধাবনের ক্ষমতার মধ্যেই তা নিহিত থাকে<ref name=":45" />।
ক্রস এই পূর্ববর্তী ধারণাগুলোকে শিক্ষার প্যাডাগজিতে রূপান্তর করেন এবং বলেন নকশা চিন্তন বিজ্ঞানের পাশাপাশি মানববিদ্যায়ও সাধারণ শিক্ষার অংশ হওয়া উচিত<ref name=":44" />। তিনি মনে করেন, শিক্ষার্থীরা যদি এই চিন্তার পদ্ধতি ব্যবহার করে উৎসাহিত হয়, তবে তাদের নন-ভার্বাল চিন্তা ও যোগাযোগ দক্ষতা উন্নত হবে<ref name=":44" />।
=== বিঘ্ন ঘটানো অর্জন হিসেবে সমালোচনামূলক চিন্তা ===
নকশা চিন্তন একটি নির্দিষ্ট প্রবাহ অনুসরণ করে — তাত্ত্বিক থেকে ব্যবহারিক দিকে। এটি কার্যকর শিক্ষার্থী সমাধান উদ্ভাবনের জন্য নির্দেশিত শিক্ষার ওপর নির্ভর করে এবং শুধু অনুসন্ধানের ওপর নয়। কারণ কেবল অনুসন্ধান দীর্ঘমেয়াদী স্মৃতির সীমা অতিক্রম করতে পারে না বলে মনে করা হয়<ref name=":44" />। নকশা চিন্তন শিক্ষার্থীকে তাদের প্রক্রিয়া সম্পর্কে মেটা-অ্যানালাইসিস করতে বাধ্য করে। সৃজনশীলতা (উদ্ভাবনী চিন্তা) নকশা চিন্তন-এ স্পষ্ট হয়, যখন এটি স্মৃতি উদ্দীপনায় মনোযোগ বিভাজন এবং মনোযোগ কেন্দ্রীকরণের মাধ্যমে উদ্ভাসিত হয়<ref name=":44" />। হু প্রমুখ (২০১০) একটি গবেষণায় চার বছরের একটি নির্দিষ্ট পাঠদান পদ্ধতিতে প্রাথমিক শিক্ষার্থীদেরকে যৌক্তিক চিন্তার মাধ্যমে নকশা প্রকল্পের জন্য ‘ডিসরাপটেড থিংকিং’ প্রয়োগ করতে শেখান। ফলাফল থেকে দেখা যায় যে তাদের চিন্তার ক্ষমতা (এসডি .78) বৃদ্ধি পায় এবং এটি দীর্ঘমেয়াদে শিক্ষাগত সাফল্য বৃদ্ধি করে<ref>Hu, Weiping, Philip Adey, Xiaojuan Jia, Jia Liu, Lei Zhang, Jing Li, Xiaomei Dong. (2010). Effects of a “Learn to Think” Intervention programme on primary school students. ''British Journal of Educational Psychology''. 81(4) 537-557.</ref>। এটি সৃজনশীল প্রক্রিয়ায় বিচ্ছিন্ন ও সমন্বিত চিন্তার ব্যবহার প্রমাণ করে। এটি দীর্ঘমেয়াদি স্মৃতির সঙ্গে সম্পর্কিত উচ্চ পর্যায়ের চিন্তার ইঙ্গিত দেয়। নকশা চিন্তন স্পষ্টভাবে শিক্ষার্থীদের এই ক্ষমতা অর্জনে সহায়তা করে।
=== নকশাকাররা কি বৈজ্ঞানিক নন? ===
নকশা চিন্তনের সমালোচকরা বলেন, নকশা নিজেই কোনো বিজ্ঞান নয় কিংবা কোনো জ্ঞানীয় শেখার পদ্ধতি নয়; এটি অন্তর্জ্ঞানভিত্তিক হওয়ায় অবৈজ্ঞানিক কাজ হিসেবে বিবেচিত। শিক্ষার্থীরা এখানে প্রকৃত জ্ঞানীয় অনুশীলনের (যেমন—বৈজ্ঞানিক যুক্তি প্রয়োগ) মধ্যে থাকে না। তবে ক্রস-এর বিশ্বাস হলো নকশা নিজেই একটি বিজ্ঞান। এটি নিয়মিত ও নির্ভরযোগ্য পদ্ধতিতে অধ্যয়ন করা যায়<ref name=":44" />। এছাড়াও শন বলেন, নকশা চিন্তন-এ তত্ত্ব ও অনুশীলনের মধ্যে সংযোগ রয়েছে। এর ফলে একটি তাত্ত্বিক ধারণা বাস্তব প্রোটোটাইপে রূপান্তরিত হয়<ref name=":46" />। নকশা চিন্তন হলো একটি বৈজ্ঞানিক জ্ঞানীয় অনুশীলন। এর মধ্যে রয়েছে প্রতিফলনমূলক অনুশীলন ও মেটা-চিন্তা। এই পদ্ধতি সেই প্রাকৃতিক ব্যবধান পূরণ করে। এটি তত্ত্ব ও বাস্তবতার মধ্যে দেখা যায়, এবং শিক্ষার্থীকে প্রচলিত পাঠ্যবইয়ের সীমা অতিক্রম করে নতুন কিছু করার সুযোগ দেয়। নকশা চিন্তন ক্লায়েন্ট বা বিশেষজ্ঞদের অনুমানভিত্তিক প্রতিক্রিয়ার পরিবর্তে এমন ফর্মে রূপ নেয় যা অপ্রত্যাশিত হতে পারে<ref name=":46" />।
=== একবিংশ শতাব্দীর শিক্ষার্থী ও বিচিত্র চিন্তার প্রয়োজন ===
নকশা চিন্তন একবিংশ শতাব্দীর প্রযুক্তি-ভিত্তিক দক্ষতার জন্য উপযুক্ত। এটি মূলত প্রযুক্তির প্রয়োগের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল ও সমালোচনামূলক দক্ষতা গড়ে তুলতে সহায়তা করে। নকশা হলো একটি আলাদা ধরনের চিন্তা। এটি একটি নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য পূরণের জন্য গুণগত সম্পর্ক তৈরি করে<ref name=":47">Wells, Alastair. (2013). The importance of design thinking for technological literacy: a phenomenological perspective''.'' ''International Journal Technol Des Educ.'' (23:623-636). DOI 10.1007/s10798-012-9207-7.</ref>। আরও স্পষ্ট করে বললে, এক বিশ্ব যা দ্রুত প্রযুক্তিনির্ভর হয়ে উঠছে, নকশা চিন্তন শিক্ষার্থীদের ‘অনুভবে নির্ভর করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ’, সূক্ষ্মতা বোঝার ক্ষমতা এবং তাদের কাজের পরিণতি মূল্যায়নের সক্ষমতা তৈরি করে<ref name=":47" />। নকশাকারকে প্রচলিত সমাধানের বাইরে চিন্তা করতে হয় এবং বর্তমান প্রযুক্তি ব্যবহার করতে জানতে হয়।
সুতরাং, নকশা চিন্তন ব্যবহারকারী শিক্ষার্থীরা প্রযুক্তির সমস্ত রূপকে সম্ভাব্য সমাধানের একটি প্রয়োগ হিসেবে বিবেচনা করে এগিয়ে যাচ্ছে। প্রোটোটাইপ তৈরি কেবল হার্ডওয়্যার প্রয়োগেই সীমাবদ্ধ নয়, এর মধ্যে সফটওয়্যার ব্যবহারের কথাও অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। অগমেন্টেড রিয়ালিটি এবং ভার্চুয়াল রিয়ালিটির মতো সর্বাধুনিক প্রযুক্তিও নকশা চ্যালেঞ্জের সমাধান হিসেবে গ্রহণযোগ্য হতে পারে।
ফলে, নকশা চিন্তনের নির্দিষ্ট প্রয়োগ সেইসব অধ্যয়নের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, যেগুলো প্রযুক্তিগত অভিযোজন এবং উদ্ভাবনের প্রয়োজন। বিশেষভাবে, K-12 BC নতুন পাঠ্যক্রম (২০১৬) তে ফলিত নকশা, দক্ষতা এবং প্রযুক্তির উপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। এখানে প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে তাদের পুরো শিক্ষাজীবন জুড়ে নকশা চিন্তনের জ্ঞান থাকা এবং প্রযুক্তির অগ্রগতির জন্য এর প্রয়োগ থাকা জরুরি। সুতরাং, নকশা চিন্তন শিক্ষার্থীদের সমালোচনামূলক চিন্তার প্রক্রিয়ায় সম্পৃক্ত করার জন্য একটি প্রাসঙ্গিক ও অপরিহার্য উপাদান।
= যুক্তি =
যুক্তি প্রদান একটি প্রক্রিয়া। এর মাধ্যমে কোনো ধারণার পক্ষে বা বিপক্ষে যুক্তি সংগঠিত ও উপস্থাপন করা হয়; অর্থাৎ এটি যুক্তি তৈরি ও প্রদর্শনের একটি কাজ। স্পষ্ট যোগাযোগের পাশাপাশি সমালোচনামূলক চিন্তা একটি ভাল যুক্তির উপাদান। এটি এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে একজন ব্যক্তি যুক্তিসঙ্গতভাবে সমস্যা, বিষয় ও বিরোধের সমাধান করে এবং প্রশ্নগুলোর সমাধান খোঁজে <ref name="jonassen">Jonassen, D.H., & Kim, B. (2010). Arguing to learn ad learning to argue: design justifications and guidelines. Education Technology & Research Development, 58(4), 439-457. DOI 10.1007/s11423-009-9143-8.</ref>।
যুক্তি প্রদানের চর্চায় দুটি মাত্রা রয়েছে: সংলাপ এবং কাঠামো <ref name="macagno">Macagno, F., Mayweg-Paus, W., & Kuhn, D. (2014). Argumentation theory in Education Studies: Coding and Improving Students’ Argumentative Strategies. Topoi, 34, 523-537.</ref>। যুক্তিতর্কপূর্ণ আলোচনায় সংলাপ নির্দিষ্ট ভাষিক কার্যক্রমের উপর ভিত্তি করে – যেমন গ্রহণ, প্রত্যাখ্যান, খণ্ডন ইত্যাদি। এটি বক্তার অবস্থানকে এগিয়ে নিতে সাহায্য করে। একটি যুক্তির কাঠামো আলোচনার বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গিকে আলাদা করে এবং বক্তারা যেসব অবস্থানের পক্ষে যুক্তি দিচ্ছেন তা স্পষ্ট করে <ref name="macagno" />।
== শিক্ষকেরা প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষার বাস্তবায়নে চ্যালেঞ্জ অনুভব করেন ==
এই ধরনের শিক্ষার বিরুদ্ধে একটি প্রধান যুক্তি হলো প্রকল্পটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে পড়তে পারে এবং শ্রেণিকক্ষে যথাযথ সময় না পাওয়ায় কার্যকর সমাধান তৈরির সুযোগ নাও থাকতে পারে। শিক্ষকেরা নিজেরাই প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষারকে গুরুত্ব দেন না কারণ এর বাস্তবায়নে তাদের প্রশিক্ষণ ও প্রয়োজনীয় পটভূমিগত জ্ঞান নেই। প্রযুক্তির মাধ্যমে কার্যকর মূল্যায়ন দিতে আর্থিক সীমাবদ্ধতাও শিক্ষকদের নিরুৎসাহিত করে (এফস্ট্রাটিয়া, ২০১৪, পৃষ্ঠা ১২৫৮)। শিক্ষার্থীরা যে তথ্য অর্জন করে তা বক্তৃতাভিত্তিক শিক্ষা দিয়েও প্রদান করা যায় এবং সমালোচকদের মতে তেমনটাই কার্যকর। তদুপরি, ঝুঁকি হলো শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষে সময় অপচয় করে এবং যদি তারা নিয়মিতভাবে কাজ ও শিক্ষাসংক্রান্ত বিষয়ে মনোযোগী না থাকে, তবে প্রকল্পটি সফল হবে না। প্রচলিত শিক্ষাপদ্ধতির শিক্ষকেরা মনে করেন, প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা শিক্ষার্থীদের বিষয়বস্তুর সাথে সংযোগ রক্ষা এবং সময় ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব শিক্ষকের উপর ফেলে। এটি সকল শিক্ষক রপ্ত করতে পারেন, এমন কোনো শিক্ষাদান পদ্ধতি নয় যা (এফস্ট্রাটিয়া, ২০১৪, পৃষ্ঠা ১২৫৮)।
== সমালোচনামূলক চিন্তার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের আসল ফলাফলের প্রয়োজন ==
প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা বিভিন্ন বিষয়ে প্রযোজ্য কারণ এর রয়েছে শিক্ষায় বহু প্রয়োগ এবং এটি একবিংশ শতাব্দীর শিক্ষার পুনঃসংজ্ঞায়নের (বিভিন্নীকরণ, প্রযুক্তিনির্ভরতা, সহযোগিতা, আন্তঃবিষয়কতা) সঙ্গে বিশেষভাবে প্রাসঙ্গিক। STEM (বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল, গণিত) হলো এমন একটি একবিংশ শতাব্দীর শিক্ষা পদ্ধতি যা প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা ব্যবহারকারী শিক্ষকদের কাছ থেকে উপকৃত হয় কারণ এটি স্বাভাবিকভাবেই বিভিন্ন ক্ষেত্রের মধ্যে সেতুবন্ধ তৈরি করে। STEM এর লক্ষ্য হলো মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার জন্য প্রস্তুত করা এবং তারা যেন বাস্তব জীবনের কাজের জগতে দলবদ্ধভাবে জটিল সমস্যা সমাধান করতে সক্ষম হয়। চিকিৎসা, প্রকৌশল, কম্পিউটার নকশা ও শিক্ষা সহ অনেক সম্ভাব্য পেশা প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা থেকে উপকৃত হতে পারে।
প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের তাদের জ্ঞান বিস্তারের সুযোগ দেয় এবং উচ্চ-চাপের পরিস্থিতিতে সাফল্য অর্জনের পথ তৈরি করে (ক্যাপ্রারো, প্রমুখ, ২০১৩, পৃষ্ঠা ২)। উপরন্তু, এই শিক্ষার্থীরাই তাদের শক্তি ও সীমাবদ্ধতার প্রতি আত্মবিশ্লেষণমূলক দৃষ্টিভঙ্গি অর্জন করে (ক্যাপ্রারো, প্রমুখ, ২০১৩, পৃষ্ঠা ২)। ফলাফল হলো এমন এক শিক্ষার্থী যে সমালোচনামূলক চিন্তায় দক্ষ এবং বাস্তব পরিস্থিতিতে তা প্রয়োগ করার সুযোগ পেয়েছে। উপরন্তু, একটি সমাপ্ত পণ্য নির্মাণ শেখার আসল ফলাফলের উপস্থাপনার একটি বাস্তব প্রত্যাশা। এই পণ্যের ফলাফল দায়বদ্ধতা দাবি করে এবং শিক্ষকের প্রত্যাশা ও প্রকল্পের সীমাবদ্ধতার প্রতি শিক্ষার্থীর অনুগত্য দেখায় (ক্যাপ্রারো, প্রমুখ, ২০১৩, পৃষ্ঠা ২)। শিক্ষার্থী নির্দিষ্ট ফলাফলের উপর মনোযোগ দেয়, কাজের পরিসীমা বোঝে এবং একটি কার্যকর বস্তু উপস্থাপন করে। এর তাৎপর্য হলো শিক্ষার্থীরা উচ্চ-প্রযুক্তিসম্পন্ন, দ্রুতগামী কর্মপরিবেশের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকবে যেখানে উদ্ভাবন, সহযোগিতা এবং ফলাফলের ভিত্তিতে তৈরি পণ্যই সফলতার মূল।
প্রযুক্তি এমন একটি ক্ষেত্র যেখানে প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা ব্যবহার করে বাস্তব জগতে প্রয়োগযোগ্য দক্ষতা গড়ে তোলা যায়। উদাহরণস্বরূপ, কম্পিউটার সিস্টেম নকশাকাররা পূর্বের জ্ঞান থাকায় হয়তো একটি অপারেটিং সিস্টেমের ত্রুটি খুঁজে বের করতে পারেন, কিন্তু তারা সত্যিই বোঝেন না কিভাবে বিভিন্ন উপাদান একসাথে কাজ করে, ফলে তারা তাদের দক্ষতা নিয়ে ভুল আত্মবিশ্বাসে ভোগেন (গ্রে, ২০১৩, পৃষ্ঠা ১)।
== বিঘ্নকারী সাফল্য হিসেবে সমালোচনামূলক চিন্তা ==
নকশা চিন্তন একটি নির্দিষ্ট ধারা অনুসরণ করে যা তত্ত্ব থেকে বাস্তবে রূপান্তরিত হয়। এটি কার্যকর শিক্ষার্থী সমাধান প্রচারে নির্দেশিত শিক্ষার উপর নির্ভর করে এবং অনুসন্ধানের সীমা অতিক্রম করে কারণ অনেক গবেষক মনে করেন, শুধুমাত্র অনুসন্ধান কার্যকর নয় কারণ এটি দীর্ঘমেয়াদী স্মৃতির সীমা অতিক্রম করে (ল্যাজোন্ডার এবং হার্মসেন, ২০১৬, পৃষ্ঠা ২)। নকশা চিন্তন শিক্ষার্থীকে তাদের প্রক্রিয়ার উপর মেটা-অ্যানালাইসিস করতে উৎসাহিত করে। সৃজনশীলতা (উদ্ভাবনী চিন্তা) নকশা চিন্তনে স্পষ্ট হয়। এটি মনোযোগের বিস্তার এবং মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করার মাধ্যমে স্মৃতিকে উদ্দীপিত করে (গোল্ডস্মিট, ২০১৬, পৃষ্ঠা ১)। হু প্রমুখ (২০১০) একটি প্রক্রিয়া তৈরি করেন যাতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নির্দিষ্ট নকশা প্রকল্পের প্রতি যৌক্তিক সমালোচনামূলক চিন্তা প্রয়োগ করে, নির্দিষ্ট পাঠ পদ্ধতির মাধ্যমে চার বছরের সময়কালে। গবেষণার ফলাফল দেখায়, এই শিক্ষার্থীদের চিন্তার ক্ষমতা (এসডি .78) বৃদ্ধি পায় এবং এই প্রভাব দীর্ঘমেয়াদে অ্যাকাডেমিক সাফল্য বৃদ্ধিতে সহায়ক হয় (হু, প্রমুখ। ২০১০, পৃষ্ঠা ৫৫৪)। এটি সৃজনশীল প্রক্রিয়ায় বিচিত্র ও সঙ্কলিত চিন্তার ব্যবহার নির্দেশ করে এবং এই দুই ধরনের চিন্তা সৃজনশীলতায় গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করা হয়েছে (গোল্ডস্মিট, ২০১৬, পৃষ্ঠা ২)। এটি উচ্চ স্তরের চিন্তার প্রতিফলন এবং দীর্ঘমেয়াদী স্মৃতির সাথে সংশ্লিষ্ট। নকশা চিন্তন বিশেষভাবে শিক্ষার্থীদের উন্নয়নে সক্ষমতা প্রদর্শন করে।
== যুক্তি প্রদানের প্রক্রিয়া ==
=== যুক্তির স্তরসমূহ ===
মানসিক প্রক্রিয়া যা একজনকে যুক্তি তৈরি, বিশ্লেষণ ও মূল্যায়নে সক্ষম করে <ref name="horn">Hornikx, J., & Hahn, U. (2012). Reasoning and argumentation: Towards an integrated psychology of argumentation. Thinking & Reasoning, 18(3), 225-243. DOI: 10.1080/13546783.2012.674715.</ref>। এই স্তরগুলো এই অধ্যায়ে পরে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হবে।
{| class="wikitable"
|১. '''উৎপাদন'''
|কীভাবে কেউ একটি দৃষ্টিভঙ্গি, মতামত বা দাবির পক্ষে যুক্তি তৈরি করে।
|-
|২. '''বিশ্লেষণ'''
|প্রস্তাবিত যুক্তিগুলোর বৈধতা মূল্যায়ন।
|-
|৩. '''মূল্যায়ন'''
|একটি যুক্তির বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি অনুসন্ধান।
|}
== শিক্ষায় যুক্তি প্রদানের প্রভাব ==
যুক্তি প্রদান কেবল সমালোচনামূলক চিন্তা এর বিকাশকে প্রভাবিত করে না, বরং শিক্ষার অন্যান্য দিকেও প্রভাব ফেলে। উদাহরণস্বরূপ, একটি জুনিয়র হাই স্কুলের বিজ্ঞান শ্রেণিতে পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, শিক্ষার্থীরা যুক্তি প্রদানে অংশগ্রহণ করলে তারা তাদের পূর্বজ্ঞান ও অভিজ্ঞতার উপর নির্ভর করে <ref name="aufs">Aufschnaiter, C., Erduran, S., Osborne, J., & Simon, S. (2008). Arguing to learn and learning to argue: Case studies of how students' argumentation relates to their scientific knowledge. Journal of Research in Science Teaching, 45(1), 101-131. doi:10.1002/tea.20213</ref>। কেবল পূর্বজ্ঞান প্রয়োগই নয়, যুক্তি প্রদান শিক্ষার্থীদের জ্ঞানকে একত্রিত করতে এবং বিষয়টির উচ্চতর পর্যায়ে বোঝাপড়া বাড়াতে সাহায্য করে <ref name="aufs" />। এগুলো শিক্ষায় যুক্তি প্রদানের প্রভাবের কয়েকটি উদাহরণ মাত্র।
ভিডিও: শিক্ষায় যুক্তি: https://www.youtube.com/watch?v=YHm5xUZmCDg
= সমালোচনামূলক চিন্তা ও যুক্তির মধ্যে সম্পর্ক =
যুক্তি প্রদান ও সমালোচনামূলক চিন্তা শিক্ষাদানে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কযুক্ত বলে মনে হয়। অনেক গবেষণায় এই দুটি উপাদান একে অপরকে কিভাবে প্রভাবিত করে তা দেখানো হয়েছে। তথ্য উপাত্ত অনুযায়ী, যখন শিক্ষায় সমালোচনামূলক চিন্তা অন্তর্ভুক্ত করা হয়, তখন এটি শিক্ষার্থীদের যুক্তি প্রদানের ক্ষমতাকে প্রভাবিত করে <ref>Bensley, A., Crowe, D., Bernhardt, P., Buckner, C., & Allman, A. (2010). Teaching and assessing CT skills for argument analysis in psychology. Teaching of Psychology, 37(2), 91-96. doi:10.1080/00986281003626656</ref>। যেসব কার্যক্রমে সমালোচনামূলক চিন্তা এবং সৃজনশীল চিন্তা উভয়ের প্রয়োজন, সেগুলোকে যুক্তিকেন্দ্রিক হওয়া উচিত <ref>Glassner, A., & Schwarz, B. B. (2007). What stands and develops between creative and critical thinking? argumentation?. Thinking Skills and Creativity, 2(1), 10-18. doi:10.1016/j.tsc.2006.10.001</ref> এবং যুক্তি বিশ্লেষণ ও গল্প বলার মাধ্যমে সমালোচনামূলক চিন্তা উন্নত করা যায় <ref>Gold J., Holman D., & Thorpe R. (2002). The role of argument analysis and story telling in facilitating critical thinking. Management Learning, 33(3), 371-388. doi:10.1177/1350507602333005</ref>। অর্থাৎ, বলা যায় যে সমালোচনামূলক চিন্তা ও যুক্তি উভয়ই একে অপরের বিকাশকে প্রভাবিত করে এবং শিক্ষার ও জ্ঞানের অন্যান্য ক্ষেত্রেও এদের প্রভাব রয়েছে।
== সমালোচনামূলক চিন্তা কীভাবে যুক্তিকে উন্নত করে ==
সমালোচনামূলক চিন্তা এমন তথ্যের মূল্যায়নে সহায়তা করে যা একটি যুক্তি তৈরির জন্য প্রয়োজন। এটি প্রতিটি অবস্থানের বৈধতা যাচাইয়ে সাহায্য করে। এটি উৎসের বিশ্বাসযোগ্যতা মূল্যায়নে ব্যবহৃত হয় এবং বিষয়টি একাধিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বিশ্লেষণে সহায়তা করে।
সমালোচনামূলক চিন্তা এবং যুক্তির উপাদানগুলোর মধ্যে অনেক সাধারণ বৈশিষ্ট্য রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, একটি বিবৃতির পক্ষে ও বিপক্ষে প্রমাণ পর্যালোচনা করা এবং যেসব তথ্য সেই দাবিগুলোর ভিত্তি গঠন করে, সেগুলো পরীক্ষা করা — এ দুটি ক্ষেত্রই একটি সঠিক যুক্তি তৈরি এবং সমালোচনামূলক চিন্তার অংশ।
এই অংশে উল্লেখিত চারটি সমালোচনামূলক চিন্তা উপাদানের আলোকে সমালোচনামূলক চিন্তা কিভাবে যুক্তি প্রদানের ক্ষমতাকে প্রভাবিত করে, তা বিশ্লেষণ করা হবে। প্রথমত, ব্রুনিং প্রমুখ (২০১১) অনুসারে, জ্ঞানের উপাদান সমস্যার সমাধান প্রক্রিয়াকে সক্রিয়ভাবে প্রভাবিত করে <ref name="bruningrh">Bruning, R. H., Schraw, G. J., & Norby, M. M. (2011). Cognitive psychology and instruction (5th ed.) Pearson.</ref>। সুতরাং, শিক্ষার্থীদের যা নিয়ে তারা যুক্তি দিচ্ছে, সেই বিষয়ে যথাযথ জ্ঞানের ভিত্তি থাকা আবশ্যক। ভালোভাবে প্রতিষ্ঠিত তথ্য ব্যবহার করে নতুন তথ্যের বিশ্বাসযোগ্যতা বিশ্লেষণ করতে পারার ক্ষমতা সেই শিক্ষার্থীদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যারা তাদের যুক্তি প্রদানের দক্ষতা বাড়াতে চায়। দ্বিতীয় উপাদান হলো '''অনুমান'''। চেসেভার এবং সিমারি (২০০৭) তাদের যুক্তি নির্মাণ নিয়ে আলোচনায় যেমনটি উল্লেখ করেছেন, তথ্য থেকে নতুন সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর ক্ষেত্রে '''যুক্তিপূর্ণ অনুমান''' একটি অপরিহার্য উপাদান<ref>Chesñevar, I., & Simari, G. (2007). Modelling inference in argumentation through labelled deduction: Formalization and logical properties. Logica Universalis, 2007, Volume 1, Number 1, Page 93, 1(1), 93-124. doi:10.1007/s11787-006-0005-4</ref>
[[চিত্র:Reasoning.jpg|থাম্ব|উপসংহার ও অনুমান—উভয়ই সমালোচনামূলক চিন্তন এবং যুক্তিবিদ্যায় গুরুত্বপূর্ণ।]]
অর্থাৎ, পূর্বে প্রাপ্ত তথ্য থেকে সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর ক্ষমতা একটি যুক্তির উন্নয়ন এবং তা বিস্তারিতভাবে উপস্থাপনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। একইভাবে, '''অনুমানভিত্তিক চিন্তন'''। এটি সমালোচনামূলক চিন্তনের একটি অংশ, যুক্তির গঠনে গুরুত্বপূর্ণ। বার্নিং ও তার সহকর্মীদের মতে, বিদ্যমান তথ্য থেকে একটি সাধারণ সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতাসমালোচনামূলক চিন্তনপ্রক্রিয়ার একটি অপরিহার্য অংশ<ref name="bruningrh2" />। ওন্টান এবং প্লাজা (২০১৫) যুক্তি দেন,, অনুমান যোগাযোগের মাধ্যমে যুক্তি গঠনে ব্যবহৃত হতে পারে। তদুপরি, একটি দলের প্রতিটি সদস্যের দেওয়া তথ্য একত্র করে সাধারণ সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর প্রক্রিয়া দেখায়, অনুমান কীভাবে যুক্তিতে পারস্পরিক সহযোগিতাকে ফলপ্রসূ করতে পারে<ref>Ontañón, S., & Plaza, E. (2015). Coordinated inductive learning using argumentation-based communication. Autonomous Agents and Multi-Agent Systems, 29(2), 266-304. doi:10.1007/s10458-014-9256-2</ref>। তাই এটি স্পষ্ট যেসমালোচনামূলক চিন্তনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে অনুমান যুক্তি এবং সহযোগিতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।সমালোচনামূলক চিন্তনের শেষ উপাদান। এটি সম্ভবত যুক্তির সাথে সবচেয়ে বেশি সম্পর্কযুক্ত, সেটি হলো '''মূল্যায়ন'''। বার্নিং ও তার সহকর্মীরা মূল্যায়নের উপাদান হিসেবে বিশ্লেষণ, বিচার এবং পরিমাপের কথা বলেন। এই তিনটি উপাদান একটি সফল যুক্তি গঠনের জন্য অপরিহার্য <ref name="bruningrh2" />। হর্নিক্স এবং হ্যান (২০১২) যুক্তি গঠনের তিনটি মূল উপাদানের একটি কাঠামো প্রদান করেন। এটি বার্নিং ও তার সহকর্মীদের উল্লেখিতসমালোচনামূলক চিন্তনের উপাদানের সঙ্গে গভীরভাবে সম্পর্কযুক্ত<ref name="horn2" />।
=== উৎপাদন, বিশ্লেষণ ও মূল্যায়ন ===
হর্নিক্স এবং হ্যান তাদের গবেষণায় যুক্তি গঠনের যে তিনটি দিকের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন, তা হলো '''উৎপাদন''', '''বিশ্লেষণ''' এবং '''মূল্যায়ন'''<ref name="horn2" />। যুক্তি উৎপাদনেসমালোচনামূলক চিন্তনের মূল উপাদানগুলো ব্যবহৃত হয়; এর মধ্যে থাকে মূল্যায়ন, বিশ্লেষণ, বিচার এবং একজন যে যুক্তির ওপর দৃঢ় অবস্থান নিতে চান, সেটির যথার্থতা নির্ণয়। যুক্তির বিশ্লেষণ এবংসমালোচনামূলক চিন্তনবিশ্লেষণ একসাথে চলে। কারণ একটি সফল এবং যথার্থভাবে সমর্থিত যুক্তি গঠনে তথ্য ও মতামতের সমালোচনামূলক বিশ্লেষণ আবশ্যক। একইভাবে, মূল্যায়নও যুক্তি বিশ্লেষণে ব্যবহৃত হয় কারণ এটিসমালোচনামূলক চিন্তনথেকে উদ্ভূত। তথ্যের উৎস এবং নির্ভরযোগ্যতা যাচাই একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটিতে কেউ তথ্যপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। সমালোচনামূলক চিন্তনের মূল্যায়নের চূড়ান্ত দিক হলো মেটাকগনিশন, অর্থাৎ নিজের চিন্তা নিয়ে চিন্তা করা বা নিজস্ব চিন্তাকে মনিটর করা <ref name="bruningrh2" />। নিজের চিন্তা পর্যবেক্ষণ এবং নেওয়া সিদ্ধান্তগুলোর যৌক্তিকতা বুঝে নেওয়া যুক্তি গঠনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। পিন্টু ও তার সহকর্মীদের গবেষণা অনুসারে, যুক্তি দেওয়ার ক্ষমতা এবং মেটাকগনিশনের মধ্যে একটি শক্তিশালী সম্পর্ক রয়েছে<ref>Pinto, M., Iliceto, P., & Melagno, S. (2012). Argumentative abilities in metacognition and in metalinguistics: A study on university students. European Journal of Psychology of Education, 27(1), 35-58. doi:10.1007/s10212-011-0064-7</ref>। অন্যভাবে বললে, একজন ব্যক্তি নিজের চিন্তা ও তার যথার্থতা নিয়ে যত বেশি ভাবতে পারেন, ততই তারা সুসংগঠিত যুক্তি প্রদান করতে সক্ষম হন। চিন্তাকে ভাষায় বা যুক্তিতে রূপান্তরের মাধ্যমে দেখা যায় যে,সমালোচনামূলক চিন্তনযুক্তি গঠনে ব্যাপক প্রভাব রাখে, যদিও কিছু গবেষণা এই সম্পর্কের পারস্পরিকতা নিয়ে বিভিন্ন দিকও তুলে ধরে।
প্রদত্ত গবেষণাগুলোর মাধ্যমে এটি স্পষ্ট হয় যে, জ্ঞ্যান, অনুমান, মূল্যায়ন এবং মেটাকগনিশনের মতো সমালোচনামূলক চিন্তন দক্ষতাগুলো যুক্তি গঠনের ওপর বড় প্রভাব ফেলে। তবে এর পাশাপাশি এটিও উঠে আসে যে, পাঠ্যক্রমেসমালোচনামূলক চিন্তনশেখানোর মাধ্যমে যুক্তি বিশ্লেষণ দক্ষতা বাড়ানো যায়। বেনসলি ও তার সহকর্মীদের (২০১০) একটি গবেষণা ইঙ্গিত দেয় যে, যখন কোনো কোর্সে সরাসরিসমালোচনামূলক চিন্তনশেখানো হয় এবং অন্য দলগুলোকে তা শেখানো না হয়, তখনসমালোচনামূলক চিন্তনশেখা দল যুক্তি বিশ্লেষণের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য উন্নতি করে<ref>Bensley, A., Crowe, D., Bernhardt, P., Buckner, C., & Allman, A. (2010). Teaching and assessing critical thinking skills for argument analysis in psychology. Teaching of Psychology, 37(2), 91-96. doi:10.1080/00986281003626656</ref>। যুক্তি গঠনে সমালোচনামূলক চিন্তন দক্ষতার ভূমিকা নিয়ে অনেক যুক্তি উপস্থাপন করা যায়, তবে এই গবেষণাটি দেখায়, সাধারণভাবেসমালোচনামূলক চিন্তনশেখানোর মাধ্যমেও শিক্ষার্থীদের যুক্তি বিশ্লেষণ ক্ষমতা বাড়ানো সম্ভব। যদি শিক্ষকরা শ্রেণিকক্ষে যুক্তি এবংসমালোচনামূলক চিন্তনউভয়ের বিকাশ চান, তাহলে এই বিষয়টি পরবর্তী অধ্যায়ের অংশে বিবেচনায় নেওয়া উচিত।
== কীভাবে যুক্তি গঠন সমালোচনামূলক চিন্তন উন্নত করে ==
যুক্তি গঠনসমালোচনামূলক চিন্তনপ্রক্রিয়ার একটি অংশ, এটি চিন্তার স্বচ্ছতা আনে এবং উপযুক্ত তথ্য বিশ্লেষণের ক্ষমতা বাড়ায়। এটি মেটাকগনিশনের অংশ। কারণ একজনকে নিজের ধারণাগুলোর মূল্যায়ন করতে হয়। সমালোচনামূলক চিন্তন দক্ষতা যেমন অনুমান ও/অথবা যুক্তিপূর্ণ সিদ্ধান্ত ব্যবহৃত হয় একটি সংগঠিত ও স্পষ্ট যুক্তি তৈরি করতে।
[[চিত্র:Toulmin_Argumentation_Example.gif|থাম্ব|Toulmin যুক্তি উদাহরণ—যুক্তি গঠনসমালোচনামূলক চিন্তনপ্রক্রিয়ার একটি অংশ, এটি চিন্তার স্বচ্ছতা আনে এবং উপযুক্ত তথ্য বিশ্লেষণের ক্ষমতা বাড়ায়। সমালোচনামূলক চিন্তন দক্ষতা যেমন অনুমান ও/অথবা যুক্তি ব্যবহৃত হয় একটি সংগঠিত ও স্পষ্ট যুক্তি তৈরি করতে।]]
গ্লাসনার এবং শোয়ার্জ (২০০৭) এর গবেষণায় দেখা যায়, যুক্তি গঠন সমালোচনামূলক এবং সৃজনশীল চিন্তার সংযোগস্থলে অবস্থান করে। তারা যুক্তি দেন,, কিশোরদের ক্ষেত্রে যুক্তি গঠনের মাধ্যমে চিন্তন হয়। এটি একাধারে সমালোচনামূলক এবং সৃজনশীল। তারা বলেন, চিন্তাভাবনা সবসময়ই অন্যান্য দৃষ্টিভঙ্গি ও তথ্য দ্বারা প্রভাবিত হয়। নতুন তথ্য নিয়ে সৃজনশীল এবং সমালোচনামূলকভাবে চিন্তা করার ক্ষমতা যুক্তি গঠনের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত হয়<ref>Glassner, A., & Schwarz, B. B. (2007). What stands and develops between creative and critical thinking? argumentation?. Thinking Skills and Creativity, 2(1), 10-18. doi:10.1016/j.tsc.2006.10.001</ref>। নতুন তথ্য গ্রহণ, মূল্যায়ন ও তা নিয়ে উদার মনোভাব প্রকাশ—এই পারস্পরিক প্রক্রিয়াকে সমালোচনামূলক ও সৃজনশীল চিন্তার সম্মিলিত কার্যক্রম হিসেবে দেখা যায়। তবে একজন ব্যক্তি যখন নতুন তথ্যের ভিত্তিতে সিদ্ধান্তে পৌঁছায়, তখন সেই সিদ্ধান্তের যৌক্তিকতা নির্ণয় করাই মূল বিষয়। যুক্তি গঠন সমালোচনামূলক চিন্তন দক্ষতাকে বিকাশে সহায়তা করে, এটি স্পষ্ট।
যদিও এটি সত্য যেসমালোচনামূলক চিন্তনযুক্তি গঠনে সরাসরি প্রভাব ফেলে, এই সম্পর্ককে দ্বিমুখী হিসেবেও দেখা যায়। এখানে যুক্তি শেখানো সমালোচনামূলক চিন্তন দক্ষতা তৈরি করে। গোল্ড ও তার সহকর্মীদের একটি গবেষণায় দেখা যায়, যুক্তি বিশ্লেষণ ও গল্প বলার মাধ্যমে সমালোচনামূলক চিন্তন দক্ষতা গড়ে তোলা যায়<ref>Gold J., Holman D., & Thorpe R. (2002). The role of argument analysis and story telling in facilitating critical thinking. Management Learning, 33(3), 371-388. doi:10.1177/1350507602333005</ref>। এই গবেষণাটি প্রমাণ করে, যুক্তি বিশ্লেষণ এবং গল্প বলার প্রক্রিয়া কেবল শিক্ষার্থীদের জন্য নয়, বরং প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রেও উপকারী। এই গবেষণায় অংশগ্রহণকারী ছিলেন অভিজ্ঞ ম্যানেজারগণ। গবেষণায়সমালোচনামূলক চিন্তনের চারটি দক্ষতা চিহ্নিত করা হয়েছে যেগুলো যুক্তি বিশ্লেষণ ও গল্প বলার মাধ্যমে উন্নত হতে পারে: বাগ্মিতার সমালোচনা, ঐতিহ্য, কর্তৃত্ব এবং জ্ঞান। এই চারটি দক্ষতা সাধারণত উচ্চবিদ্যালয়ে শেখানো সমালোচনামূলক চিন্তন দক্ষতার চেয়ে গভীরতর, এবং এগুলোর বিকাশ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যুক্তি গঠনসমালোচনামূলক চিন্তনকে এমনভাবে প্রভাবিত করতে পারে। এটি ব্যক্তিকে নিজের মূল্যবোধ ও বিশ্বাস নিয়ে আরও গভীরভাবে চিন্তা করতে সক্ষম করে এবং নতুন তথ্য পেলে তা পুনর্মূল্যায়ন করার সুযোগ দেয়।
উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য যুক্তি গঠনসমালোচনামূলক চিন্তনএবং সৃজনশীল চিন্তার উভয় ক্ষেত্রেই উপকারী। ডেমির এবং ইসলেইন (২০১৫) এর গবেষণায় দেখা যায়, নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে বিজ্ঞান শিক্ষায় যুক্তিভিত্তিক পদ্ধতি প্রয়োগ করলে উভয় ধরনের চিন্তার দক্ষতা বৃদ্ধি পায়<ref>Demir, B., & İsleyen, T. (2015). The effects of argumentation based science learning approach on creative thinking skills of students. Educational Research Quarterly, 39(1), 49-82.</ref>। শিক্ষার্থীরা যখন যুক্তি গঠনের মাধ্যমেসমালোচনামূলক চিন্তনএবং সৃজনশীল চিন্তার বিকাশ ঘটাতে পারে, তখন এটি অত্যন্ত ইতিবাচক ফল দেয়। যেহেতু আগেই বলা হয়েছে যে, সৃজনশীল এবং সমালোচনামূলক চিন্তন দক্ষতা যুক্তির মাধ্যমে চিন্তা করে উপসংহারে পৌঁছায়, তাই শ্রেণিকক্ষে যুক্তি-নির্ভর পাঠদান উভয় ধরনের দক্ষতাই বৃদ্ধি করে। সারসংক্ষেপে বলা যায়, যুক্তি গঠন এবংসমালোচনামূলক চিন্তনএর মধ্যে একটি দৃঢ় সম্পর্ক রয়েছে, এবংসমালোচনামূলক চিন্তনউপশ্রেণির অনেক দক্ষতার সাথেই এদের সম্পর্ক আছে। এই দুটি ধারণার সুনির্দিষ্ট পাঠদান একে অপরের বিকাশে সহায়ক এবং পরিপূরক বলেই প্রতীয়মান। এই অধ্যায়ের পরবর্তী অংশে এই বিষয়গুলো পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্তির উপযোগিতা এবং কীভাবে তারা যৌক্তিক চিন্তন ও জীবনের জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা বৃদ্ধিতে সহায়ক—তা আলোচনা করা হবে।
= যুক্তি ও সমালোচনামূলক চিন্তার পাঠদান =
[[চিত্র:HUJI_Election_Debate_(8361985738).jpg|থাম্ব|বিতর্ক হচ্ছে যুক্তি ওসমালোচনামূলক চিন্তনের একটি ব্যবহারিক প্রয়োগ]]
== শিক্ষণ কৌশল ==
সমালোচনামূলক চিন্তনশেখানোর কার্যকর পদ্ধতি হলো চিন্তার দক্ষতাগুলোকে একটি পরিস্কার এবং ধারাবাহিক ধাপে বিন্যস্ত করা। এই ধাপগুলো শিক্ষার্থীদের তাদের নিজস্ব চিন্তন পদ্ধতি সম্পর্কে সচেতন করে এবং বাস্তব জীবনে তা প্রয়োগের উপযোগিতা শেখায়। যুক্তিপূর্ণ পদ্ধতিতে। এখানে শিক্ষার্থীরা বিস্তৃত ধারণা থেকে শুরু করে নির্দিষ্ট কাজের দিকে অগ্রসর হয়,সমালোচনামূলক চিন্তনের মাধ্যমে পূর্বে জানা কিছু থেকে নতুন কিছু তৈরি করতে পারে।সমালোচনামূলক চিন্তনের চেতনায়, শিক্ষার্থীর নিজের দক্ষতা সম্পর্কে সচেতনতা তাদের শিক্ষায় একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের শুধু ফলাফলের ওপর মনোযোগ না দিয়ে, বরং লক্ষ্য অর্জনের পেছনের চিন্তন প্রক্রিয়া সম্পর্কে ভাবতে উৎসাহিত করা উচিত। এই ধরণের আত্মমূল্যায়নের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা যুক্তির মতো কাজের জন্য প্রয়োজনীয় চিন্তার দক্ষতা সম্পর্কে আরও সচেতন হয়ে উঠতে পারে।
সমালোচনামূলক চিন্তন এবং যুক্তি প্রদানের শিক্ষা দেওয়ার অর্থ হলো প্রথমেই সমালোচনামূলক চিন্তন দক্ষতা ব্যবহারের প্রতি মনোযোগ দেওয়া। সমালোচনামূলক চিন্তা শেখানোর জন্য একটি পরিকল্পনা তৈরির সময়, একজনকে বিভিন্ন পদ্ধতি মূল্যায়ন ও বিশ্লেষণ করে তথ্যভিত্তিক সিদ্ধান্ত নিতে হয় যে কোনটি তার শ্রেণির জন্য সবচেয়ে উপযোগী হবে। সমালোচনামূলক চিন্তা শেখানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের পন্থা রয়েছে। ''বর্ণনামূলক মডেলগুলো'' বোঝায় কীভাবে "ভালো" চিন্তাভাবনা কাজ করে। এটি বিশেষভাবে মনোযোগ দেয় এমন চিন্তন কৌশলের উপর, যেমন হিউরিস্টিক্স যা তথ্য মূল্যায়ন ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে সাহায্য করে। অন্যদিকে, ''নির্দেশনামূলক মডেলগুলো'' বোঝায় কী হওয়া উচিত একটি ভালো চিন্তার ধরণ। এক অর্থে, এই মডেলগুলো একটি প্রোটোটাইপ বা “নির্দেশনা” দেয় ভালো চিন্তা কী হওয়া উচিত। এই পদ্ধতিটি তুলনামূলকভাবে কম প্রয়োগযোগ্য এবং উচ্চতর স্তরের চিন্তাভাবনার জন্য একটি উচ্চ মানদণ্ড স্থাপন করে। যেকোনো পদ্ধতি নির্বাচন করার আগে, একজন শিক্ষককে অবশ্যই নির্ধারণ করতে হবে তিনি শিক্ষার্থীদের কোন নির্দিষ্ট ধরণের সমালোচনামূলক চিন্তন দক্ষতা শেখাতে চান। এই প্রক্রিয়ায় শিক্ষার্থীদের বয়স, কর্মদক্ষতা এবং জ্ঞানীয় ক্ষমতা বিবেচনা করে এমন একটি কর্মসূচি তৈরি করতে হয় যা বেশিরভাগ, যদি না হয় সব, শিক্ষার্থীদের উপকারে আসে। একজন শিক্ষকের জন্য শেষ যে বিষয়ে বিবেচনা করা উচিত, তা হলো '''সরাসরি''' নাকি '''পরোক্ষ পদ্ধতিতে''' সমালোচনামূলক চিন্তন শেখানো হবে। ''সরাসরি নির্দেশনা'' বোঝায় সমালোচনামূলক চিন্তন দক্ষতার স্পষ্ট শিক্ষা যা নিয়ম এবং ধাপগুলো জোর দিয়ে শেখায়। এটি সবচেয়ে কার্যকরী হয় যখন সমস্যার সমাধান সীমিত বা সহজ হয়। এর বিপরীতে, ''পরোক্ষ নির্দেশনা'' হলো শিক্ষার্থী-কেন্দ্রিক শিক্ষা পদ্ধতি যা শিক্ষার্থীর নিজস্ব চিন্তাধারা গঠনের উপর জোর দেয়। এটি সবচেয়ে কার্যকর যখন সমস্যা অনির্ধারিত, অস্পষ্ট বা ব্যাখ্যার ওপর নির্ভরশীল হয়, যেমন নৈতিক বা নীতিশাস্ত্রভিত্তিক সিদ্ধান্ত <ref name="bruningrh3" />।
পরোক্ষ সমালোচনামূলক চিন্তন শেখানোর একটি উদাহরণ হলো সাহিত্য পর্যালোচনা লেখার প্রক্রিয়া। চ্যান্ডলার ও ডেডম্যান-এর মতে, সাহিত্য পর্যালোচনার জন্য তথ্য সংগ্রহ, বিশ্লেষণ এবং ফলাফল সংক্ষেপে উপস্থাপন করার দক্ষতা অর্জন সমালোচনামূলক চিন্তা চর্চারই একটি অংশ। একটি শিক্ষণ নোটে, তারা একটি বিএসডব্লিউ (ব্যাচেলর অব সোশ্যাল ওয়ার্ক) প্রোগ্রাম বিশ্লেষণ করেন যা স্নাতক শিক্ষার্থীদের মধ্যে সমালোচনামূলক চিন্তাকে উন্নত করতে চেয়েছিল। তারা নির্দিষ্টভাবে বলেন, সাহিত্য পর্যালোচনা তৈরির মতো ব্যবহারিক লেখার অ্যাসাইনমেন্ট শিক্ষার্থীদের পুনর্বিবেচনা এবং প্রতিফলনের সাথে যুক্ত করতে সাহায্য করে এবং তাদের চিন্তার পরিধি বাড়িয়ে বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি বিশ্লেষণের সুযোগ দেয়। তারা দেখতে পান, যখন এই অ্যাসাইনমেন্টকে একটি সমালোচনামূলক পর্যালোচক হিসেবে শিক্ষার্থীদের বিকাশের একটি হাতিয়ার হিসেবে উপস্থাপন করা হয়, তখন শিক্ষার্থীরা এটিকে শুধুমাত্র কোর্স উপাদানের সারাংশ হিসেবে নয় বরং সমালোচনামূলক পাঠ ও লেখন দক্ষতা উন্নয়নের সুযোগ হিসেবেও দেখেছে। আলোচনার সময় প্রশ্নের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের তাদের প্রবন্ধের উৎসের কর্তৃত্ব ও বিশ্বাসযোগ্যতা বিশ্লেষণে সাহায্য করা হয়। শিক্ষার্থীরা তাদের বিষয়ে আরও প্রমাণ সংগ্রহে সচেষ্ট হয়। বিএসডব্লিউ প্রোগ্রামের শেষে শিক্ষার্থীরা সফলভাবে সুচিন্তিত সাহিত্য পর্যালোচনা তৈরি করে <ref>Chandler, S. & Dedman, D.E. (2012). Writing a Literature Review: An Essential Component of Critical Thinking. The Journal of Baccalaureate Social Work, 17. 160-165.</ref>। এই প্রোগ্রামটি সমালোচনামূলক চিন্তন দক্ষতার নিঃশব্দ শিক্ষা প্রদান করে। এখানে শিক্ষকের সাথে সংলাপ এবং সহপাঠী অংশগ্রহণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এখানে নির্দিষ্ট দক্ষতা বা ধাপ স্পষ্টভাবে বলা হয় না, বরং শিক্ষার্থীদের একটি অ্যাসাইনমেন্টের মাধ্যমে সমালোচনামূলক চিন্তা অনুশীলনে নিয়ে যাওয়া হয়। যখন শিক্ষার্থীরা অ্যাসাইনমেন্টে কাজ করে, তখন তাদের যুক্তি, বিশ্লেষণ এবং অনুমানমূলক দক্ষতা ব্যবহার করতে হয় যাতে তারা তাদের বিষয় সংক্রান্ত প্রমাণগুলোকে সংহত করে সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারে। অ্যাসাইনমেন্ট ভিত্তিক সমালোচনামূলক চিন্তা দক্ষতার ব্যবহার শিক্ষার্থীদের মধ্যে পরোক্ষ নির্দেশনার মাধ্যমে এই দক্ষতা গড়ে তোলে।
[[চিত্র:False_dichotomy_public_transport.png|থাম্ব|যুক্তির মানচিত্র একটি যুক্তি উপস্থাপনের দৃশ্যায়ন]]
যুক্তির মানচিত্র হলো যুক্তি উপস্থাপনের একটি ভিজ্যুয়াল উপায়। নিচে যুক্তির মানচিত্র তৈরির সফটওয়্যারগুলোর লিংক দেওয়া হলো:
https://www.rationaleonline.com/
http://www.argunet.org/editor/
http://debategraph.org/planet
https://www.truthmapping.com/map/1021/#s7164
== সমালোচনামূলক চিন্তনের জন্য দক্ষতা ভিত্তিক প্রোগ্রাম ==
এই প্রোগ্রামগুলো বিকল্প শিক্ষণ পদ্ধতির মাধ্যমে সমালোচনামূলক চিন্তন দক্ষতা গঠনে সহায়তা করে, যেমন সমস্যা সমাধান। সাধারণত এগুলো বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের জন্য তৈরি করা হয়, যেমন শেখার অক্ষমতা বা জ্ঞানীয় ঘাটতিসম্পন্ন শিক্ষার্থীরা।
=== CoRT চিন্তন সামগ্রী ===
CoRT (কগনিটিভ রিসার্চ ট্রাস্ট) প্রোগ্রামটি ডি বোনো-র ধারণার ওপর ভিত্তি করে তৈরি। এখানে বলা হয়েছে চিন্তন দক্ষতাকে স্কুলে একটি বিষয় হিসেবে শেখানো উচিত <ref name="alf">Al-Faoury, O.H., & Khwaileh, F. (2014). The Effect of Teaching CoRT Program No. (4) Entitles “Creativity” on the Gifted Learners’ Writing in Ein El-Basha Center for Gifted Students. Theory and Practice in Language Studies, 4(11), 2249-2257. doi:10.4304/tpls.4.11.2249-2257.</ref>। চিন্তন সামগ্রী মূলত চিন্তন দক্ষতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে তৈরি। এই দক্ষতা ভিত্তিক প্রোগ্রাম গেস্টাল্ট পদ্ধতির অনুসরণ করে এবং সমস্যা সমাধানে পারসেপচুয়াল ফ্যাক্টরের উপর গুরুত্ব দেয়। এটি সাধারণত দুই বছরের একটি কোর্স যা বিভিন্ন বয়সের শিশুদের উপযোগী। পাঠগুলো সৃজনশীল চিন্তা, সমস্যা সমাধান ও আন্তঃব্যক্তিক দক্ষতা বিকাশে সহায়তা করে। সামগ্রীগুলো ছয়টি ইউনিটে বিভক্ত এবং পরিকল্পনা, বিশ্লেষণ, তুলনা, নির্বাচন, মূল্যায়ন ও বিকল্প ধারণা তৈরির মতো বিষয় অন্তর্ভুক্ত করে। একটি সাধারণ ইউনিটে লিফলেট থাকে যা একটি নির্দিষ্ট বিষয় কাভার করে, এরপর অনুশীলনের জন্য উদাহরণ দেওয়া হয়। এই লিফলেটগুলো সাধারণত দলীয় কার্যক্রমে বেশি কার্যকর। ইউনিটগুলোর মূল লক্ষ্য হলো চিন্তন দক্ষতা অনুশীলন করানো, তাই পাঠের অধিকাংশ সময় এই বিষয়গুলোর চর্চার জন্য বরাদ্দ থাকে <ref name="bruningrh3" />।
এই স্বতন্ত্র প্রোগ্রামের উপর করা অধিকাংশ গবেষণা সৃজনশীল চিন্তা বিকাশের উপর কেন্দ্রীভূত, তবে এটি এই অধ্যায়ে উল্লিখিত অন্যান্য প্রোগ্রামগুলোর তুলনায় তুলনামূলকভাবে বেশি বিস্তৃত। CoRT প্রোগ্রামটি মেধাবী শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। আল-ফাউরি ও খোয়াইলেহ (২০১৪) CoRT প্রোগ্রামটি মেধাবী শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল লেখার উপর কী ধরনের প্রভাব ফেলে তা মূল্যায়ন করেন। শিক্ষার্থীদের একটি প্রাক-পরীক্ষা দেওয়া হয় যেখানে সৃজনশীল ছোটগল্প লেখার ক্ষেত্রে প্রবাহ, নমনীয়তা ও মৌলিকতা মূল্যায়ন করা হয় <ref name="alf" />। পরীক্ষামূলক গ্রুপের শিক্ষার্থীরা তিন মাসে মোট ২০টি CoRT পাঠ গ্রহণ করে। এর মধ্যে ১০টি ছিল CoRT 1 “Breadth” এবং ১০টি CoRT 4 “Crea tivity” থেকে, অপরদিকে নিয়ন্ত্রণ গ্রুপকে ঐতিহ্যবাহী সৃজনশীল লেখার পাঠ দেওয়া হয়। পরবর্তী পরীক্ষা একই মানদণ্ডে নেওয়া হয় এবং ফলাফল প্রাক-পরীক্ষা ও পরবর্তী পরীক্ষার স্কোরের তুলনা করে বিশ্লেষণ করা হয়। গবেষকেরা দেখতে পান, পরীক্ষামূলক গ্রুপের প্রবাহ, নমনীয়তা ও মৌলিকতা স্কোরে একটি পরিসংখ্যানগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ উন্নতি হয়েছে। এই তিনটি উপাদানেই পরীক্ষামূলক গ্রুপের গড় স্কোর নিয়ন্ত্রণ গ্রুপের তুলনায় বেশি ছিল <ref name="alf" />। এই ফলাফলগুলো নির্দেশ করে CoRT প্রোগ্রামটি রূপক, উপমা ইত্যাদির মতো অলংকারশাস্ত্রীয় কৌশল ব্যবহারের মাধ্যমে, সংলাপের মাধ্যমে চরিত্র বিকাশ এবং জটিল গঠন নিয়ন্ত্রণে শিক্ষার্থীদের সহায়তা করে <ref name="alf" />। লেখার নমনীয়তা ও প্রবাহ যুক্তি প্রদর্শন এবং সমালোচনামূলক চিন্তার চর্চার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। ধারণা উপস্থাপন ও পরিবর্তনের ক্ষমতা বিকাশের মাধ্যমে, শিক্ষার্থীরা এই দক্ষতাগুলো সৃজনশীল লেখালেখি থেকে উচ্চতর জ্ঞানীয় প্রক্রিয়ায়—যেমন সমালোচনামূলক চিন্তা ও যুক্তি প্রদান—পরিবর্তন করতে সক্ষম হয়।
=== ফয়ের্স্টাইন ইনস্ট্রুমেন্টাল এনরিচমেন্ট প্রোগ্রাম (এফআইই) ===
এফআইই একটি বিশেষায়িত প্রোগ্রাম যা মধ্যস্থতাভিত্তিক শিক্ষার অভিজ্ঞতার উপর ভিত্তি করে গড়ে তোলা হয়েছে এবং এর উদ্দেশ্য হলো সমালোচনামূলক চিন্তা ও সমস্যা সমাধান দক্ষতা গড়ে তোলা। মধ্যস্থতা হলো এমন এক শিক্ষণ পদ্ধতি যা শিক্ষার্থী ও মধ্যস্থতাকারীর মধ্যে পারস্পরিক সংলাপের মাধ্যমে ঘটে। ভাইগোৎস্কির “স্ক্যাফোল্ডিং”-এর মতো, এটি শিক্ষার্থী-কেন্দ্রিক এবং চারটি মূল উপাদানের উপর ভিত্তি করে: উদ্দেশ্যমূলকতা, পারস্পরিকতা, পরিপার্শ্বে প্রসারণ এবং অর্থবোধকতা <ref name="kozulin">Kozulin, A. & Presseisen, B.Z. (1995). Mediated Learning Experience and Psychological Tools: Vygotsky’s and Feuerstein’s Perspective in a Study of Student Learning. Educational Psychologist, 30(2), 67-75.</ref>। উদ্দেশ্যমূলকতা বোঝায় মধ্যস্থতা ও সাধারণ পারস্পরিক যোগাযোগের মধ্যে পার্থক্য। এখানে শিক্ষার্থী ও মধ্যস্থতাকারীর মধ্যে একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য থাকে। পারস্পরিকতা বোঝায় শিক্ষার্থী-কেন্দ্রিক মনোভাব। এখানে শিক্ষার্থীর প্রতিক্রিয়াই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, শিক্ষাবিষয়ক ফলাফল নয়। পরিপার্শ্বে প্রসারণ বোঝায় বর্তমান পাঠ ছাড়িয়ে নতুন সংযোগ তৈরি ও প্রয়োগের উৎসাহ প্রদান। অর্থবোধকতা বোঝায় শিক্ষার্থী ও মধ্যস্থতাকারী পরিষ্কারভাবে “কেন” ও “কিসের জন্য” প্রশ্নের উত্তর নির্ধারণ করে। এটি শিক্ষার সময় সংলাপ বাড়ায় <ref name="kozulin" /><ref>Presseisen, B.Z. & Kozulin, A. (1992). Mediated Learning – The Contributions of Vygotsky and Feuerstein in Theory and Practice.</ref>
এই প্রোগ্রামে ব্যবহৃত “ইনস্ট্রুমেন্টগুলো” হলো পেন্সিল-পেপার ভিত্তিক অনুশীলন যা শিক্ষার্থীদের উচ্চতর চিন্তন কৌশল অন্তর্নিহিতভাবে অনুশীলনে সহায়তা করে। এই ইনস্ট্রুমেন্টগুলো বিশ্লেষণাত্মক উপলব্ধি, স্থানগত সংগঠন, শ্রেণীবিন্যাস, তুলনা এবং অন্যান্য অনেক বিষয়ে কাজ করে। বিভিন্ন দেশে এই প্রোগ্রামের প্রয়োগ পদ্ধতি ভিন্ন এবং লক্ষ্যকৃত জনগোষ্ঠীর উপর নির্ভরশীল। একটি সাধারণ প্রোগ্রামে ১৪টি ইউনিট থাকে এবং প্রতি সপ্তাহে কয়েক ঘণ্টার জন্য ৩–৪টি সেশন পরিচালনা করা হয়। এটি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত IE কর্মী ও শিক্ষকরা পরিচালনা করে <ref name="kozulin" />।
=== ফলপ্রসূ চিন্তন কর্মসূচি ===
ফলপ্রসূ চিন্তন কর্মসূচির লক্ষ্য হলো পরিকল্পনা করার দক্ষতা, অনুমান তৈরি ও যাচাই এবং নতুন ধারণা উদ্ভাবন। এটি ১৫টি পাঠে বিভক্ত যা একটি সেমিস্টারে সম্পন্ন করার জন্য তৈরি। প্রোগ্রামের লক্ষ্য গোষ্ঠী হলো উচ্চস্তরের প্রাথমিক শ্রেণির শিক্ষার্থীরা। পাঠগুলো একটি গল্পনির্ভর বইয়ের মাধ্যমে পড়ানো হয়। এখানে শিক্ষার্থীরা একজন গোয়েন্দার ভূমিকায় কাজ করে এবং রহস্য সমাধান করে। একটি নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য শিক্ষার্থীদের একটি কাঠামোবদ্ধ ধাপ অনুসরণ করতে হয় <ref>Schuler, G. (1974). The Effectiveness of the Productive Thinking Program. Paper presented at the Annual Meeting of the American Educational Research Association. Retrieved from: http://www.eric.ed.gov/contentdelivery/servlet/ERICServlet?accno=ED103479.</ref>। পাঠ শেষে অতিরিক্ত সমস্যা দেওয়া হয় যাতে শিক্ষার্থীরা শিখিত দক্ষতা প্রয়োগ করে অনুশীলন করতে পারে <ref name="bruningrh3" />।
=== IDEAL সমস্যা সমাধান পদ্ধতি ===
IDEAL সমস্যা সমাধান পদ্ধতি ৫টি ধাপের একটি কাঠামো যা IDEAL নামের সংক্ষিপ্তরূপে উপস্থাপিত। প্রথমে, (I)dentify: সমস্যা শনাক্ত করা, অর্থাৎ সমস্যাটি কী তা বুঝতে হবে। দ্বিতীয় ধাপ, (D)efine: সমস্যা সংজ্ঞায়িত করা। এখানে পুরো সমস্যাটি পরিষ্কারভাবে বোঝা জরুরি। তৃতীয় ধাপ, (E)xplore: বিকল্পগুলো অন্বেষণ করা, অর্থাৎ সম্ভাব্য সমাধানগুলো বিশ্লেষণ করা। চতুর্থ ধাপ, (A)cting: একটি পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করা। শেষ ধাপ, (L)ooking: ফলাফল পর্যবেক্ষণ করা, অর্থাৎ গৃহীত সমাধানের প্রভাব বিশ্লেষণ করা। IDEAL একটি নমনীয় কাঠামো যা বিভিন্ন বয়স ও দক্ষতার শিক্ষার্থীদের জন্য উপযোগী এবং বিভিন্ন বিষয়ে যেমন রচনা বা পদার্থবিজ্ঞানে প্রয়োগ করা যায় <ref name="bruningrh3" />।
== যুক্তিবাদের নির্দেশনা ==
যুক্তিবাদ নিয়ে গবেষণা শিক্ষা ক্ষেত্রে তুলনামূলকভাবে নতুন একটি ক্ষেত্র হলেও, এটি প্রায় সব ধরনের শিক্ষাব্যবস্থার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং কলেজগুলো এখন শ্রেণিকক্ষে যুক্তিবাদের ব্যবহারে গুরুত্ব দিচ্ছে। কারণ এটি বিশ্বব্যাপী পেশাগত ও শিক্ষামূলক পরিবেশে যোগাযোগ ও বিতর্কের সবচেয়ে কার্যকর উপায় হিসেবে দেখা হচ্ছে।<ref name="cro">Crowell, A., & Kuhn, D. (2014). Developing dialogic argumentation skills: A 3-year intervention study. Journal of Cognition and Development, 15(2), 363-381. doi:10.1080/15248372.2012.725187</ref> ক্রোয়েল এবং কুহন কর্তৃক পরিচালিত একটি দীর্ঘমেয়াদী গবেষণায় দেখা গেছে, শিক্ষার্থীদের যুক্তিবাদী দক্ষতা অর্জনে সবচেয়ে কার্যকর উপায় হলো শ্রেণিকক্ষে ও বাড়ির কাজ হিসেবে ধারাবাহিক ও ঘনঘন যুক্তিবাদের প্রয়োগ।<ref name="cro" /> এই গবেষণার সময় শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন পদ্ধতির মাধ্যমে যুক্তিবাদী দক্ষতা অর্জন করেছে। বন্ধুদের সঙ্গে সহযোগিতা, কম্পিউটার ব্যবহার, আত্মপ্রত্যয়মূলক কার্যকলাপ, ব্যক্তিগত প্রবন্ধ এবং ছোট দলের কাজ—এই সব কৌশল যুক্তিবাদ শেখানোর ক্ষেত্রে মূল্যবান প্রমাণিত হয়েছে, যদিও কোনটি সবচেয়ে কার্যকর তা স্পষ্ট নয়।<ref name="cro" /> গবেষণার তথ্য থেকে দেখা যায়, শিক্ষার্থীরা যেখান থেকে শুরু করেছিল, তাদের আগের যুক্তিবাদী পরীক্ষার ফলাফল যাই হোক না কেন, সকলেই প্রায় সমান মাত্রার যুক্তিবাদী দক্ষতা অর্জন করেছে। এটি প্রমাণ করে, এমনকি যাদের প্রথম দিকে যুক্তিবাদী দক্ষতা নেই বলেই মনে হয়েছে, তারাও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সেই দক্ষতা অর্জন করতে পারে এবং হয়তো তাদের চেয়েও ভালো করতে পারে যারা শুরুতে বেশি নম্বর পেয়েছিল।<ref name="cro" />
=== সংলাপ ও যুক্তিবাদ ===
ক্রোয়েল এবং কুহন (২০১১) এর গবেষণায় দেখা যায়, যৌথ সংলাপভিত্তিক কার্যকলাপ যুক্তিবাদী দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য কার্যকর হস্তক্ষেপ হতে পারে। তারা একটি দীর্ঘমেয়াদী হস্তক্ষেপ চালু করেন। সেখানে একটি মধ্যবিদ্যালয়ের দর্শনের ক্লাসে বিষয়ভিত্তিক চক্র ব্যবহার করে যুক্তিবাদ শেখানো হয়<ref name="crowell">Crowell, A., & Kuhn, D. (2011). Dialogic Argumentation as a Vehicle for Developing Young Adolescents’ Thinking. Psychological Science, 22(4), 545-552. DOI: 10.1177/0956797611402512.</ref>। শিক্ষার্থীরা সপ্তাহে দুই দিন, প্রতি ক্লাসে ৫০ মিনিট করে তিন বছর ধরে ক্লাস করে। এই হস্তক্ষেপ ছিল তিন ধাপে: প্রথমে শিক্ষার্থীদের ছোট ছোট দলে ভাগ করে তাদের যুক্তির একদিকে রাখার মাধ্যমে ধারণা তৈরি করা হয় (“পক্ষে” এবং “বিপক্ষে” দল)। এরপর প্রতিপক্ষের সঙ্গে বৈদ্যুতিক মাধ্যমে যুক্তি তর্কে যুক্ত হয়। সবশেষে পুরো শ্রেণিকক্ষে একত্রে বিতর্কে অংশ নেয়। এই তিনটি ধাপ যথাক্রমে প্রিগেম, গেম এবং এন্ডগেম নামে পরিচিত। হস্তক্ষেপ শেষে শিক্ষার্থীদের একটি প্রবন্ধ লিখতে বলা হয় যার মাধ্যমে তাদের যুক্তিবাদী দক্ষতা মূল্যায়ন করা হয়<ref name="crowell" />। ফলাফল দেখায় যে হস্তক্ষেপপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের মধ্যে দ্বিমুখী দৃষ্টিভঙ্গি ভিত্তিক যুক্তি তৈরির হার বৃদ্ধি পেয়েছে। এই ধরনের যুক্তি প্রদানের জন্য একজনকে নিজের বিপরীত অবস্থান নিতে হয় এবং সেই অনুযায়ী যুক্তি সাজাতে হয়। এই ধরনের যুক্তি উচ্চতর মানসিক প্রক্রিয়া নির্দেশ করে যা বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গিকে বিশ্লেষণ করার সামর্থ্য চায়। এই পরিবর্তনগুলি দ্বিতীয় বছর পর্যন্ত দৃশ্যমান ছিল না এবং তৃতীয় বছরেই তা পরিসংখ্যানগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে প্রমাণিত হয়। এটি নির্দেশ করে যুক্তিবাদী দক্ষতা অন্যান্য নিম্নস্তরের মানসিক দক্ষতার তুলনায় বেশি সময় নিয়ে গড়ে ওঠে<ref name="crowell" />। এই স্বতন্ত্র হস্তক্ষেপ প্রমাণ করে সংলাপভিত্তিক কার্যকলাপের সহযোগিতামূলক দিকটি যুক্তিবাদের জন্য প্রয়োজনীয় মানসিক প্রবণতা গঠনে সহায়তা করে<ref name="crowell" />।
[[চিত্র:Dynamic_roles_during_dialogue.jpg|থাম্ব|যুক্তিবাদ বিকাশে সংলাপভিত্তিক কার্যকলাপ গুরুত্বপূর্ণ। পারিবারিক থেরাপিস্ট ডেভিড ক্যান্টর সংলাপের সময় অংশগ্রহণকারীরা যে চারটি ভিন্ন ভিন্ন ভূমিকা গ্রহণ করেন, তা চিত্রিত করেছেন।]]
আরও গবেষণায় দেখা যায়, সহযোগিতামূলক আলোচনা ও যুক্তিবাদী সংলাপের মাধ্যমে শিক্ষা প্রদান একটি কার্যকর কৌশল<ref name="macagno2" />। যুক্তিবাদের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ধারণা এবং এই ধারণাগুলোর পেছনের মৌলিক চিন্তাধারা অর্জন করতে পারে। যুক্তি তৈরি করতে গেলে শিক্ষার্থীদের গ্রহণযোগ্য সংজ্ঞা বা দাবির মাধ্যমে একটি যুক্তির কাঠামো গড়ে তুলতে হয়। যুক্তিবাদ শিক্ষার্থীদের ভুল ধারণা স্পষ্ট করতে সাহায্য করে এবং তাদের পূর্বজ্ঞান ব্যাখ্যা ও সম্প্রসারণের সুযোগ দেয়। যুক্তিবাদের দুটি প্রধান দিক—সংলাপ এবং কাঠামো—প্রায়শই যুক্তিবাদী দক্ষতার মূল্যায়নে ব্যবহৃত হয়<ref name="macagno2" />। বিশেষ করে শিক্ষার্থী ও বিশেষজ্ঞদের মধ্যকার সংলাপের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের নির্দিষ্ট যুক্তি ও পাল্টা যুক্তি দিতে উৎসাহিত করা যায়। এটি বিশেষজ্ঞের সংলাপগত সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করে<ref name="macagno2" />। এই সহায়ক কাঠামো শিক্ষার্থীকে গভীরভাবে বিশ্লেষণ করতে সহায়তা করে।
যখন শিক্ষার্থী-শিক্ষার্থী এবং শিক্ষার্থী-বিশেষজ্ঞ সংলাপের মধ্যে যুক্তিবাদী আচরণের কনটেন্ট ও কার্যকরী কোডিং বিশ্লেষণ করা হয়, তখন ম্যাকাগ্নো, মেওয়েগ-পাউস ও কুহন (২০১৪) দেখেছেন যে শিক্ষার্থী-বিশেষজ্ঞ সংলাপের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা পরবর্তীতে মূল বিষয়টির গভীরে থাকা বিমূর্ত ধারণা (যেমন নৈতিক নীতিমালা, মূল্যবোধের দ্বন্দ্ব) নিয়ে যুক্তি তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে। এটি শিক্ষার্থী-শিক্ষার্থী সংলাপে দেখা যায়নি<ref name="macagno2" />। বিশেষজ্ঞরা শিক্ষার্থীর যুক্তিকে আক্রমণ করার জন্য আরও নির্দিষ্ট ও জটিল কৌশল ব্যবহার করেন, যেমন সমস্যা সমাধানের বিকল্প উপায় প্রস্তাব করা। এটি পরবর্তী সময়ে শিক্ষার্থীর মেটা-সংলাপে পারফরম্যান্স উন্নত করেছে<ref name="macagno2" />। এই ফলাফল নির্দেশ করে সহযোগিতামূলক কার্যকলাপে যুক্তিবাদের ব্যবহার যুক্তিবাদী দক্ষতা বিকাশে সহায়ক। সমালোচনামূলক চিন্তনের মতো, শিক্ষাদানের পরিবর্তে, ইন্টারঅ্যাকটিভ পরিবেশে অনুশীলনের মাধ্যমে যুক্তিবাদ শেখা আরও কার্যকর হতে পারে।
=== বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদ ===
শ্রেণিকক্ষে যুক্তিবাদের প্রয়োগ নিয়ে অধিকাংশ সাহিত্য বৈজ্ঞানিক বিষয়কেই কেন্দ্র করে লেখা হয়েছে। যুক্তিবাদ বিজ্ঞান শিক্ষায় একটি টুল হিসেবে ব্যবহৃত হয় সমালোচনামূলক চিন্তন উন্নত করতে, ক্লাসে অংশগ্রহণ বাড়াতে এবং বিষয়ের চারপাশে পূর্বজ্ঞান ও বিশ্বাস সক্রিয় করতে<ref name="macagno2" />। বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব ও জ্ঞান ব্যাখ্যা এবং পরিশোধিত করার জন্য বিজ্ঞানীরাও যুক্তিবাদের ওপর নির্ভর করেন<ref name="jonassen2" />। জোনাসেন ও কিম (২০১০) বলেন, বিজ্ঞান শিক্ষকরা প্রায়ই যুক্তিবাদের গুরুত্ব অন্যান্য বিষয়ের চেয়ে বেশি দেন<ref>Jonassen, D.H., & Kim, B. (2010). Arguing to learn ad learning to argue: design justifications and guidelines. Education Technology & Research Development, 58(4), 439-457. DOI 10.1007/s11423-009-9143-8.</ref>। যুক্তিবাদ শিক্ষার্থীদের ভালোভাবে সংগঠিত সমস্যা ও অসংগঠিত সমস্যার সমাধান শিখতে সাহায্য করে। এটি দৈনন্দিন জীবনের সমস্যাগুলোকেও অন্তর্ভুক্ত করে। বিশেষভাবে, অসংগঠিত সমস্যা হচ্ছে এমন সমস্যা যেখানে লক্ষ্য ও সীমাবদ্ধতা স্পষ্ট নয় এবং একাধিক সমাধানের পথ ও মূল্যায়নের মানদণ্ড থাকে<ref name="jonassen2" />।
যুক্তিবাদের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা সমস্যা সমাধানের জন্য সঠিক যুক্তি ও সমালোচনামূলক চিন্তন প্রয়োগ করতে শেখে। উদাহরণস্বরূপ, একটি ভালোভাবে সংগঠিত সমস্যা হতে পারে পদার্থবিজ্ঞানের একটি প্রশ্ন যেখানে নির্দিষ্ট সূত্র ও নিয়ম অনুসরণ করে উত্তর বের করতে হয় অথবা পাঠ্যবইয়ের শেষে থাকা প্রশ্ন যা নির্দিষ্ট তত্ত্বের ওপর ভিত্তি করে সমাধান করতে হয়। অন্যদিকে, একটি অসংগঠিত সমস্যা হতে পারে একজন ব্যক্তির হৃদরোগের কারণ নির্ধারণ করা। এখানে বিভিন্ন জীবনধারা ও শারীরিক কারণ একত্রে কাজ করে এবং হৃদরোগের নানা রূপও বিবেচনা করতে হয়। এই ধরনের সমস্যা সমাধানের জন্য পুষ্টি, মানসিক স্বাস্থ্য ও জিনগত কারণের মতো অন্যান্য ক্ষেত্র থেকেও জ্ঞান প্রয়োগ করতে হয়। যেহেতু এই সমস্যাগুলোর একক কোনো উত্তর নেই, শিক্ষার্থীরা তাদের সমাধানের যুক্তি দিতে পারে<ref name="jonassen2" />। বিজ্ঞান শেখার সময় এমন সমস্যা সমাধানের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা সমালোচনামূলক চিন্তন ব্যবহার করে যুক্তিবাদী দক্ষতা গড়ে তোলে।
একজন ব্যক্তির যুক্তি প্রদানে আগ্রহ এবং দক্ষতা – এই দুইটিই বিজ্ঞানের শিক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে<ref name="bathgate">Bathgate, M., Crowell, A., Schunn, C., Cannady, M., & Dorph, R. (2015). The learning benefits of being willing and able to engage in scientific argumentation. International Journal of Science Education, 37(10), 1590-1612. doi:10.1080/09500693.2015.1045958</ref>। কারণ, বিজ্ঞান নিজেই এক ধরনের যুক্তিবাদী ক্ষেত্র।
[[চিত্র:The_Scientific_Method_as_an_Ongoing_Process.svg|থাম্ব|বিজ্ঞান মূলত যুক্তিবাদভিত্তিক একটি প্রক্রিয়া; বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির মধ্যেই এই যুক্তিক্রম দেখা যায়।]]
যদি শিক্ষার্থীরা অল্প বয়স থেকেই যুক্তিবাদে অংশ নিতে সক্ষম হয়, তবে তাদের বৈজ্ঞানিক বিষয়বস্তুর জ্ঞান অনেক বেশি বৃদ্ধি পেতে পারে। এর প্রধান কারণ হলো যুক্তিবাদী আলাপচারিতা। সেখানে অন্যের সঙ্গে দ্বিমত প্রকাশ করতে পারা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে কিশোর-কিশোরীদের ক্ষেত্রে যাদের সামাজিক আচরণ অত্যন্ত সক্রিয় থাকে (যেমন জুনিয়র থেকে সিনিয়র হাই স্কুল)। এই সামাজিক সক্ষমতা ব্যবহার করাই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এ সময় তারা একে অপরের সঙ্গে দ্বিমত প্রকাশ করতে আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠে। একজন শিক্ষার্থী যখন ক্লাসে অন্য কারও সঙ্গে যুক্তি দেয়, তখন সে তার চিন্তাভাবনা প্রকাশ করতে বাধ্য হয়। এই চিন্তাভাবনার ভাষায় রূপদান শিক্ষার্থীর শেখার জন্য খুবই কার্যকর<ref name="bathgate" />। এটি তাকে তার চিন্তাভাবনা বিশ্লেষণ ও সম্প্রসারণ করতে সাহায্য করে। কারণ তার ধারণাগুলো শ্রেণিতে উপস্থাপন করতে হয়। এছাড়া, এতে করে শিক্ষার্থী নিজের ভুল ধারণাও শনাক্ত করতে পারে। কারণ সহপাঠীরা তার যুক্তির বিরোধিতা করতে পারে<ref name="bathgate" />। এসব উপাদান সমালোচনামূলক চিন্তার অংশ এবং শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য অর্থাৎ ধারণাগত পরিবর্তনে অবদান রাখে। কিশোর-কিশোরীদের সামাজিক আচরণের এই প্রকৃতি বিজ্ঞানে তাদের শিক্ষায় যুক্তিবাদের প্রভাব বিস্তার করতে একটি সুযোগ সৃষ্টি করে<ref name="bathgate" />।
=== যুক্তিবাদ, সমস্যা সমাধান এবং ইতিহাস শিক্ষায় সমালোচনামূলক চিন্তন ===
ইতিহাস শিক্ষা শিক্ষার্থীদের জন্য সমস্যা সমাধান ও সমালোচনামূলক চিন্তনের বিকাশের এক সমৃদ্ধ সুযোগ প্রদান করে এবং মানব অভিজ্ঞতার প্রতি তাদের দৃষ্টিভঙ্গি প্রসারিত করে। ইতিহাস চর্চা একটি জ্ঞানগত ব্যবধান পূরণ করে; বিশেষ করে, এটি বর্তমান দিনের জ্ঞানের সঙ্গে "অসীম, অসংগঠিত এবং অজানা যা কিছু অতীতে ঘটেছে" – তার পার্থক্য দূর করে।<ref name="”S”">Seixas, P., Morton, T., Colyer, J., & Fornazzari, S. (2013). The Big Six: Historical thinking Concepts. Toronto: Nelson Education.</ref> বহুদিন ধরেই ইতিহাস শিক্ষায় সমালোচনামূলক চিন্তন এবং বিশ্লেষণী সমস্যা সমাধানের গুরুত্ব স্বীকৃত। ইতিহাসে দক্ষ হতে হলে শিক্ষার্থীদের বুঝতে ও নির্মাণ করতে হয় যে কিভাবে আমরা অতীত সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করি এবং কিভাবে অতীত ও ইতিহাস নামক জ্ঞানের ভাণ্ডারের মধ্যে সংযোগ তৈরি করি।<ref>Osborne, K. (2013). Forward. Seixas, P., Morton, T., Colyer, J., & Fornazzari, S. The Big Six: Historical thinking Concepts. Toronto: Nelson Education.</ref> দুর্ভাগ্যজনকভাবে, ইতিহাস শিক্ষাকে আজকাল শুধুমাত্র তথ্য মুখস্থ করার বিষয়ে সীমাবদ্ধ করে ফেলা হয়েছে – যেখানে অতিরিক্ত মুখস্থ এবং বহু বিকল্প প্রশ্নভিত্তিক পরীক্ষার উপর নির্ভর করা হচ্ছে। এটি বর্তমান বাস্তবতা থেকে সম্পূর্ণভাবে আলাদা। এই ধরনের পদ্ধতি শিক্ষার্থীদের ইতিহাস বিষয়ে আগ্রহ তৈরি করতে পারে না, এমনকি এটি অতীত ও বর্তমানের সংযোগ বুঝতেও সাহায্য করে না।
অন্যদিকে, বিজ্ঞান ও গণিতের অধ্যয়ন বহু বছর ধরে সমস্যা সমাধানের কার্যকলাপের মাধ্যমে দক্ষতা উন্নয়নের উপর কেন্দ্রীভূত হয়েছে। শিক্ষার্থীরা প্রাথমিক দক্ষতা অর্জন করে এবং ক্রমাগত জটিল সমস্যার একটি অগ্রগতি অনুসরণ করে এই দক্ষতাগুলোকে আরো গভীরভাবে রপ্ত করে। এটিতে তারা বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব এবং গাণিতিক সম্পর্ক সম্পর্কে আরও ভালোভাবে বুঝতে পারে। বিশেষ করে বিজ্ঞান শিক্ষায়, শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞানীদের মতো চিন্তা করতে এবং বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি ব্যবহার করে সমস্যার সমাধান করতে শেখানো হয়। যদি এই পদ্ধতি বিজ্ঞান ও গণিত শিক্ষার ক্ষেত্রে কার্যকর হয়, তবে ইতিহাস শিক্ষায় এটি ব্যবহার করা যাবে না কেন? <ref name="”S”2" />। অতএব, ঐতিহাসিক চিন্তা বিকাশের জন্য শিক্ষকদের পেশাদার ইতিহাসবিদদের দ্বারা ব্যবহৃত কৌশল ও সমস্যা সমাধানের পন্থাগুলো শেখানো প্রয়োজন। তবে, বিজ্ঞান ও গণিতের মতো নয়, ইতিহাসে আমরা যেসব সমস্যার সমাধান করি, সেগুলো প্রায়ই অস্পষ্ট এবং অনেক সময় সুস্পষ্টভাবে অমীমাংসিত থাকে। এটি শিক্ষার্থীদের জন্য এই দক্ষতাগুলি শেখা ও প্রয়োগ করা আরও চ্যালেঞ্জিং করে তোলে। পরবর্তী অংশে এই চ্যালেঞ্জগুলো আলোচনা করা হবে এবং ২০১৩ সালের ''দ্য বিগ সিক্স হিস্ট্রিকাল থিংকিং কনসেপ্ট'' (ছয়টি বড় ঐতিহাসিক চিন্তাভাবনার ধারণা)-র মাধ্যমে ঐতিহাসিক চিন্তা শেখানোর পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করা হবে।
==== ঐতিহাসিক চিন্তা - দ্য বিগ সিক্স ====
বহু বছরের গবেষণা ও সরাসরি শ্রেণিকক্ষ অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে সেক্সাস ও মর্টন (২০১৩) ঐতিহাসিক চিন্তা দক্ষতা বিকাশের জন্য ছয়টি অপরিহার্য যোগ্যতার একটি সেট তৈরি করেন। উপরোক্ত বিজ্ঞান ও গণিত শিক্ষার মতোই, ইতিহাস শিক্ষায় ‘বিগ সিক্স’ পদ্ধতি শিক্ষার্থীদের সহজ কাজ থেকে জটিল কাজের দিকে অগ্রসর হওয়ার সুযোগ দেয়। তদুপরি, এই পদ্ধতির উদ্দেশ্য হলো শিক্ষার্থীদের “সাধারণ উপলব্ধ ধারণার উপর নির্ভরতা থেকে সরে এসে ইতিহাস বোঝার জন্য সংস্কৃতির সবচেয়ে শক্তিশালী বুদ্ধিবৃত্তিক সরঞ্জাম ব্যবহার করা” শেখানো। (পৃষ্ঠা ১) <ref name="”S”2" /> এছাড়াও, বিগ সিক্স ধারণাগুলো শিক্ষার্থীদের দেখায় যে অতীতের ইতিহাস নির্মাণ করতে গেলে কী ধরণের জটিলতার মুখোমুখি হতে হয়। এই ছয়টি দক্ষতার মধ্যে রয়েছে: ঐতিহাসিক গুরুত্ব, প্রমাণ, ধারাবাহিকতা ও পরিবর্তন। কারণ ও পরিণতি, ঐতিহাসিক দৃষ্টিভঙ্গি, এবং নৈতিক মাত্রা।
'''ঐতিহাসিক গুরুত্ব'''
ইতিহাস সম্পর্কে সমালোচনামূলক দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে তুলতে হলে শিক্ষার্থীদের বুঝতে ও সংজ্ঞায়িত করতে হবে কী কারণে একটি ব্যক্তি, ঘটনা, বা সামাজিক পরিবর্তন ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ এবং কেন তাদের এ বিষয়ে সময় ব্যয় করা উচিত। ইতিহাস শিক্ষায় আচরণবাদী পদ্ধতি। সেখানে পাঠ্যপুস্তকই প্রধান তথ্য উৎস, শিক্ষার্থীদের ইতিহাস শেখায় প্যাসিভ বা নিষ্ক্রিয় হয়ে উঠতে। পাঠ্যপুস্তকই যেন নির্ধারণ করে দেয় কী জানতে হবে। উপরন্তু, শুধুমাত্র পাঠ্যপুস্তকের উপর নির্ভর করে জাতীয় ইতিহাস শেখানো “মাস্টার ন্যারেটিভ” তৈরি করতে পারে। এটি শিক্ষার্থীদের দেশের অতীতের বিতর্কিত দিকগুলো জানার সুযোগ সীমিত করে দেয়।<ref name="CA">Carretero, M., & van Alphen, F. (2014). Do Master Narratives Change Among High School Students? A Characterization of How National History Is Represented. Cognition and Instruction, 32(3), 290–312. http://doi.org/10.1080/07370008.2014.919298</ref> পাঠ্যপুস্তক থেকে মনোযোগ সরিয়ে দিলে, শিক্ষার্থীরা ঐতিহাসিকদের মতো করে অতীত বিশ্লেষণের ধাপ অনুসরণ করে সমালোচনামূলক চিন্তা দক্ষতা আরও ভালোভাবে উন্নয়ন করতে পারে এবং “ঐতিহাসিক গুরুত্ব সম্পর্কে যুক্তিসংগত সিদ্ধান্ত” তৈরি করতে পারে। <ref name="”S”2" /> তবে, এমনকি যদি শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক উৎস উপস্থাপন করাও হয়, তবু যদি তাদের শেখানো না হয় কেন এই নির্দিষ্ট প্রমাণ বা বিষয়গুলো নির্বাচন করা হয়েছে এবং কেন এগুলো গুরুত্বপূর্ণ, তাহলে তারা ইতিহাস গঠনে মানবিক প্রেরণার প্রভাব অনুধাবন করতে ব্যর্থ হতে পারে। বিজ্ঞানী যেভাবে “পজিটিভিস্টিক যুক্তিবাদের সংজ্ঞা” ব্যবহার করেন, ঐতিহাসিক চিন্তা তার চেয়ে ভিন্ন; এটি শিক্ষার্থীদেরকে অনুধাবন করাতে হয় তাদের নিজের প্রেরণা, শিক্ষকের বিষয় নির্বাচনের প্রেরণা, এবং অতীতের মানুষের প্রেরণা সম্পর্কে। <ref name="”Freedman2015”">Freedman, E. B. (2015). “What Happened Needs to Be Told”: Fostering Critical Historical Reasoning in the Classroom. Cognition and Instruction, 33(4), 357–398. http://doi.org/10.1080/07370008.2015.1101465</ref>
সেক্সাস ও মর্টন (২০১৩) ঐতিহাসিক গুরুত্ব নির্ধারণের দুটি উপাদান চিহ্নিত করেছেন: “আজকের জীবনে বিদ্যমান বড় ও প্রাসঙ্গিক উদ্বেগ যেমন পরিবেশগত স্থায়িত্ব, ন্যায়বিচার, ক্ষমতা, ও কল্যাণ” এবং “বিশেষ কিছু ঘটনা, বস্তু, ও ব্যক্তিত্ব যাদের ঐতিহাসিক গুরুত্ব নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে” (পৃষ্ঠা ১৬) <ref name="”S”2" /> এই দুটি উপাদানের সংযোগস্থলে ঐতিহাসিক গুরুত্ব নির্ধারিত হয়। এখানে ফ্রিডম্যান (২০১৫)-এর সমালোচনামূলক ঐতিহাসিক যুক্তির সংজ্ঞাটি যুক্ত করা প্রাসঙ্গিক। এটি আমাদের বোঝায় যে ইতিহাস অধ্যয়ন নিরপেক্ষ নয়। ইতিহাসবিদরা “তাদের অনুসন্ধান নির্ধারণ করেন তারা যে প্রশ্ন করেন ও যে তত্ত্ব ব্যবহার করেন তার মাধ্যমে” এবং তাই ইতিহাস শিক্ষার্থীদের “ঐতিহাসিক বর্ণনার সততা ও এর জোর ও উপেক্ষার ধরণ” বিশ্লেষণ করতে হয় (পৃষ্ঠা ৩৬০)। <ref name="”Freedman2015”" /> সমালোচনামূলক ঐতিহাসিক যুক্তি শিক্ষার্থীদের শেখায় তারা যে ফ্রেমটি গ্রহণ করেছে তা সম্পর্কে সচেতন হওয়া এবং এই ফ্রেমের সুবিধা ও সীমাবদ্ধতা বুঝতে পারা (পৃষ্ঠা ৩৬০)। <ref name="”Freedman2015”" /> অতএব, ইতিহাসবিদ ও ইতিহাস শিক্ষার্থীদের উভয়কেই বুঝতে হবে যে ঐতিহাসিক গুরুত্ব আরোপিত হয়, এটি অতীতের কোনো অন্তর্নিহিত গুণ নয়, এবং এটি পরিবর্তনশীল।
'''প্রমাণ'''
সেক্সাস ও মর্টন (২০১৩) বর্ণিত দ্বিতীয় দক্ষতা হলো অতীত সম্পর্কিত প্রশ্নের উত্তরে প্রমাণ ব্যবহার করা। ওয়াইনবার্গ (১৯৯১) একটি গবেষণায় উৎস নথিপত্র বিশ্লেষণে ব্যবহৃত জ্ঞানীয় প্রক্রিয়াগুলো নির্ণয় করেন এবং তিনটি কৌশলের কথা বলেন: প্রতিপাদন (মিলিয়ে দেখা), সোর্সিং (লেখক নির্ধারণ), এবং প্রাসঙ্গিকীকরণ বা প্রেক্ষাপটে স্থাপন। প্রতিপাদন মানে এক উৎসের সঙ্গে অন্যটির তুলনা করা, সোর্সিং মানে উপাত্ত পড়ার আগে লেখককে চিহ্নিত করা, এবং প্রাসঙ্গিকীকরণ মানে প্রমাণকে নির্দিষ্ট সময় ও স্থানে স্থাপন করা (পৃষ্ঠা ৭৭)। <ref name="Wa">Wineburg, S. S. (1991). Historical problem solving: A study of the cognitive processes used in the evaluation of documentary and pictorial evidence. Journal of Educational Psychology, 83(1), 73–87. http://doi.org/10.1037/0022-0663.83.1.73</ref>
এই গবেষণায় ইতিহাসবিদ ও উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে পার্থক্য তুলনা করা হয়। ওয়াইনবার্গ (১৯৯১) দেখান, ইতিহাসবিদরা সফল হয় কারণ তারা কোনো নির্দিষ্ট ঘটনা সম্পর্কে “পরিপ্রেক্ষিতভিত্তিক স্কিমা” তৈরি করে, বিজ্ঞান ও গণিতে ব্যবহৃত সাধারণ স্কিমা প্রসেসিংয়ের বিপরীতে (পৃষ্ঠা ৮৩)। <ref name="Wa" /> এছাড়াও, ইতিহাসবিদরা নথির উৎসের প্রতি শিক্ষার্থীদের চেয়ে বেশি সচেতনতা দেখিয়েছেন। এটি বোঝায় যে শিক্ষার্থীরা লেখকের পরিচয় ও উৎসের নির্ভরযোগ্যতার সম্পর্কটি বুঝতে পারেনি। ওয়াইনবার্গ বলেন, “কোনো বিবরণই মুক্তভাবে বিচ্ছিন্ন নয়, প্রতিটি বিবরণ কোনো সাক্ষীর সঙ্গে যুক্ত, এবং যদি সাক্ষী সন্দেহজনক হয়, তবে তাদের বিবরণও সন্দেহজনক” (পৃষ্ঠা ৮৪)। <ref name="Wa" /> এই গবেষণা দেখায় ইতিহাস নির্মাণে ইতিহাসবিদদের ব্যবহার করা জ্ঞানীয় কৌশল শেখানোর মাধ্যমে ঐতিহাসিক বোঝাপড়া উন্নত করা যেতে পারে।
অতীত সম্পর্কে একাধিক বর্ণনা থাকতে পারে। কারণ প্রত্যেকে তার নিজস্ব মূল্যবোধ ও অভিজ্ঞতা অনুযায়ী ইতিহাস ব্যাখ্যা করে। এটি স্বীকৃতি দিলে শিক্ষার্থীরা সাধারণ ইতিহাসের উপস্থাপনায় সন্তুষ্ট না থেকে একটি সমালোচনামূলক দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করতে পারে। ফ্রিডম্যান (২০১৫)-এর ভিয়েতনাম যুদ্ধ সংক্রান্ত গবেষণায় দেখা যায় যে প্রাথমিক উৎস বিশ্লেষণের মাধ্যমে এবং পাঠ্যপুস্তকের সাথে তুলনা করে শিক্ষার্থীরা বুঝতে পারে তারা কিভাবে ইতিহাস “ফ্রেম” করে। <ref name="”Freedman”">Freedman, E. B. (2015). “What Happened Needs to Be Told”: Fostering Critical Historical Reasoning in the Classroom. Cognition and Instruction, 33(4), 357–398. http://doi.org/10.1080/07370008.2015.1101465</ref> শিক্ষার্থীদের যদি প্রমাণভিত্তিক ব্যাখ্যা তৈরি করার স্বাধীনতা দেওয়া হয়, তাহলে ইতিহাসকে একটি স্থির জ্ঞানভান্ডার হিসেবে না দেখে তারা এটি বিশ্লেষণমূলকভাবে চিন্তা করতে শিখবে।
'''ধারাবাহিকতা ও পরিবর্তন'''
ধারাবাহিকতা ও পরিবর্তনের ধারণা গড়ে তুলতে হলে শিক্ষার্থীদের বুঝতে হবে ইতিহাসের ধারাবাহিকতায় এই দুটি উপাদান একসঙ্গে থাকে; কিছু জিনিস পরিবর্তিত হয়, আবার কিছু একই রকম থাকে। শিক্ষার্থীরা যদি নিজেদের জীবনে এই দুটি উপাদান চিহ্নিত করতে পারে, তাহলে তারা ইতিহাস অধ্যয়নে তা প্রয়োগ করতে পারবে। <ref name="S">Seixas, P., Morton, T., Colyer, J., & Fornazzari, S. (2013). The Big Six: Historical thinking Concepts. Toronto: Nelson Education.</ref> শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করা উচিত ইতিহাসের পরিবর্তনের গতি ও গভীরতা ব্যাখ্যা করতে এবং এটি অগ্রগতি না পতনের নিদর্শন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে।<ref name="S" /> ইতিহাসের পরিবর্তন ইতিবাচক না নেতিবাচক তা মূল্যায়ন সম্পূর্ণরূপে দর্শকের দৃষ্টিভঙ্গির উপর নির্ভর করে।
একটি উদাহরণ হলো সংস্কৃতি ও জাতীয় পরিচয়ের ধারাবাহিকতা। ক্যারেটেরো ও ভ্যান আলফেন (২০১৪) আর্জেন্টিনার উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে “মাস্টার ন্যারেটিভ” বিশ্লেষণ করে দেখান কিভাবে পরিচয় ইতিহাস শিক্ষায় সহায়ক হলেও অতীত ও বর্তমান গুলিয়ে ফেলতে পারে, যেমন বিজয়ী যুদ্ধ বা বিপ্লবের ক্ষেত্রে “আমরা” শব্দ ব্যবহার করা যা একটি জাতি গঠনে ভূমিকা রেখেছে (পৃষ্ঠা ৩০৮-৩০৯)। <ref name="CA" /> তাই শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সময় পর্ব চিহ্নিত করতে শেখানো জরুরি। তবে, '''ইতিহাসের পর্যায় বিভাজন''' নিজেই একটি ব্যাখ্যামূলক কাজ এবং এটি ইতিহাসবিদদের করা প্রশ্নের উপর নির্ভর করে। <ref name="S" />
শিক্ষায় প্রযুক্তির ব্যবহার, যেমন ইন্টারঅ্যাকটিভ টাইমলাইন, ইতিহাসভিত্তিক গেমস এবং অনলাইন আলোচনা, শিক্ষার্থীদের অতীত ও বর্তমানের মধ্যে সংযোগ গড়ে তুলতে সাহায্য করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, কানাডার মেডিকেয়ার বিষয়ে সভ্যতার জাদুঘর একটি ইন্টারঅ্যাকটিভ শিক্ষণ সরঞ্জাম সরবরাহ করে (http://www.museedelhistoire.ca/cmc/exhibitions/hist/medicare/medic01e.shtml)। ইন্টারঅ্যাকটিভ টাইমলাইন শিক্ষার্থীদের ধারাবাহিকতা, পরিবর্তন। কারণ ও পরিণতির মধ্যে সংযোগ দেখতে সহায়তা করে। এছাড়াও, শক্তিশালী অনুসন্ধানমূলক প্রশ্নের মাধ্যমে টাইমলাইনের নির্দেশনা দিলে শিক্ষার্থীদের বোঝাপড়া আরও গভীর হতে পারে এবং ঐতিহাসিক চিন্তা দক্ষতা বিকাশে সহায়তা করে।
উদাহরণস্বরূপ, ইউরোপীয় রেনেসাঁ সম্পর্কে একটি অনুসন্ধান নিম্নোক্ত প্রশ্ন দ্বারা পরিচালিত হতে পারে: “ইউরোপের সকলেই কি রেনেসাঁকে একইভাবে অভিজ্ঞতা করেছে?” এই ধরনের প্রশ্ন খোলা-প্রান্তিক হয় যাতে শিক্ষার্থীদের অনুসন্ধানকে নির্দিষ্ট পথে সীমাবদ্ধ না করে, বরং রেনেসাঁর পরিবর্তন এবং ইউরোপীয় সমাজের ধারাবাহিকতার মধ্যে একটি সম্পর্ক নির্দেশ করে। ঐতিহাসিক চিন্তাকে সহায়তা করার জন্য শিক্ষাগত প্রযুক্তির অন্যান্য উদাহরণগুলোর মধ্যে “''ওয়ার্ল্ড হিস্ট্রি ফর অল অফ আস''” (''আমাদের সকলের জন্য বিশ্ব ইতিহাস'' ''-'' [http://worldhistoryforusall.sdsu.edu/ http://worldhistoryforusall.এসডিsu.edu/]) প্রকল্প অন্তর্ভুক্ত। এই ওয়েবসাইটটি বিশ্ব ইতিহাসের ইউনিটগুলোকে বৃহৎ পরিসর এবং স্থানীয় পর্যায়ে ভাগ করেছে এবং তা ঐতিহাসিক সময়কাল অনুসারে সংগঠিত। পাঠ পরিকল্পনা এবং সংস্থানগুলো শিক্ষার্থীদের স্থানীয় ইস্যু ও বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটের মধ্যে সংযোগ স্থাপনে সহায়তা করতে পারে। এটি বিশ্ব ইতিহাসকে প্রভাবিত করে। অবশেষে, ব্ল্যাকেনশিপ (২০০৯) এর একটি কেস স্টাডি প্রস্তাব করে অনলাইন আলোচনা গোষ্ঠীগুলি সমালোচনামূলক চিন্তন বিকাশে উপকারী। কারণ এগুলোর মাধ্যমে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের চিন্তার প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করতে পারেন এবং ফলস্বরূপ, গঠনমূলক মূল্যায়ন ও প্রয়োজনীয় শিক্ষণ হস্তক্ষেপের ধরন নির্ধারণে সহায়তা পান। ব্ল্যাকেনশিপ (২০০৯) আরও গবেষণার উল্লেখ করেন যা অনলাইন আলোচনার পক্ষে যুক্তি দেয়। কারণ এতে শিক্ষার্থীরা আলোচনার আগে তাদের চিন্তা সংগঠিত করতে পারে; এতে তাদের পূর্ববর্তী জ্ঞান কাজে লাগাতে এবং নিজের ধারণা বিবেচনা করার জন্য বেশি সময় পাওয়া যায়। <ref>Blackenship, W. (2009). Making connections: Using online discussion forums to engage students in historical inquiry. Social Education, 73(3), 127-130.</ref>
'''কারণ ও পরিণতি'''
ঐতিহাসিক চিন্তার দক্ষতা হিসেবে কারণ ও পরিণতির ধারণা শিক্ষার্থীদেরকে ঐতিহাসিক ঘটনাবলীর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কারণ এবং তার তাৎক্ষণিক ও দীর্ঘমেয়াদি পরিণতি চিহ্নিত করতে পারার দক্ষতা অর্জনে সহায়তা করে। ঐতিহাসিক পরিবর্তনের কারণগুলি বোঝার জন্য ব্যক্তির কর্মকাণ্ড ও সেই সময়ের প্রচলিত পরিস্থিতি উভয়কেই স্বীকৃতি দেওয়া প্রয়োজন। ঐতিহাসিক চিন্তা শিক্ষার্থীদেরকে সরল, তাৎক্ষণিক কারণের বাইরে গিয়ে ইতিহাসকে “পারস্পরিকভাবে সংযুক্ত কারণ ও পরিণতির একটি জাল” হিসেবে ভাবতে শেখায়। এটির প্রতিটির উপর বিভিন্ন প্রভাব রয়েছে (পৃষ্ঠা ১১০)। <ref name="S2" /> অতীতকে আরও ভালভাবে বোঝার পাশাপাশি, এই দক্ষতাগুলি শিক্ষার্থীদের বর্তমানের দ্বন্দ্ব ও সমস্যাগুলো বোঝতেও সহায়তা করতে পারে। শ্রেইনার (২০১৪) নবীন/বিশেষজ্ঞ বিন্যাস ব্যবহার করে যাচাই করেন কীভাবে মানুষ ইতিহাসের জ্ঞান ব্যবহার করে বর্তমান ঘটনার বিষয়ে যুক্তিসঙ্গত সিদ্ধান্তে পৌঁছায়। উপরে উল্লিখিত ওয়াইনবার্গ (১৯৯১) গবেষণার অনুরূপভাবে, শ্রেইনার (২০১৪) দেখতে পান যে বিশেষজ্ঞরা প্রেক্ষাপট স্থাপন এবং উৎস বিশ্লেষণে বেশি দক্ষ। এটি তাদেরকে দলিলের নির্ভরযোগ্যতা ও ব্যবহারিকতা যাচাই করে যুক্তিসঙ্গত রায়ে পৌঁছাতে সাহায্য করে। এছাড়াও, গবেষণায় দেখা যায় যে শিক্ষার্থীরা অর্থ নির্মাণে বর্ণনা ব্যবহার করে, তবে তারা সাধারণত “স্কিমেটিক ন্যারেটিভ টেমপ্লেট” তৈরি করে। এটি অতীত সম্পর্কে সাধারণ বিবৃতি দেয় কিন্তু নির্দিষ্ট তথ্য ও ঘটনা থাকে না। <ref>Shreiner, T. L. (2014). Using Historical Knowledge to Reason About Contemporary Political Issues: An Expert–Novice Study. Cognition and Instruction, 32(4), 313–352. http://doi.org/10.1080/07370008.2014.948680</ref> সেইক্সাস ও মর্টন (২০১৩) অতিসরলেখ টাইমলাইন ব্যবহারে সাবধান করে দেন কারণ এতে ইতিহাসকে বিচ্ছিন্ন ঘটনাবলীর একটি তালিকা মনে হতে পারে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ঐতিহাসিক বর্ণনা যা সময়কালভিত্তিক এবং কারণ-পরিণতি সম্পর্কযুক্ত, সেইসাথে সময়ের সাথে পরিবর্তন অন্তর্ভুক্ত করে, তা বর্তমান ইস্যু বোঝার জন্য সহায়ক।<ref name="S2" /> সুতরাং, শিক্ষকদের উচিত শিক্ষার্থীদের মধ্যে এই দক্ষতাগুলির বিকাশ ঘটানো। ঐতিহাসিক পরিবর্তনের মতোই, ইতিহাসের কিছু কর্মকাণ্ডের পরিণতি বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি অনুযায়ী ইতিবাচক বা নেতিবাচক হিসেবে দেখা যেতে পারে। এটি নিচে আরও বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হবে।
'''ঐতিহাসিক দৃষ্টিভঙ্গি ও নৈতিকতা'''
সেইক্সাস ও মর্টনের প্রস্তাবিত চূড়ান্ত দুটি ঐতিহাসিক চিন্তার দক্ষতা হলো ঐতিহাসিক দৃষ্টিভঙ্গি ও নৈতিকতা। ঐতিহাসিক দৃষ্টিভঙ্গি বলতে ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট বিশ্লেষণ বোঝায়। এটি একটি ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্বকে কোনো ঘটনা বা কর্মকাণ্ড নির্দিষ্টভাবে দেখাতে বা কাজ করতে প্রভাবিত করে। এতে অন্তর্ভুক্ত হতে পারে ধর্মীয় বিশ্বাস, সামাজিক অবস্থান, ভৌগোলিক অবস্থান, সময়কাল, প্রচলিত অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং সামাজিক/সাংস্কৃতিক অবস্থা। এখানে প্রমাণ ব্যাখ্যার প্রয়োজন হয় কারণ প্রায়শই আমাদের কাছে এমন তথ্য থাকে না যা সরাসরি কোনো ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্বের মনোভাব বা কার্যকারণের কারণ ব্যাখ্যা করে। প্রাথমিক উৎস দলিল, যেমন চিঠি বা ডায়েরি, কিছুটা ধারণা দিতে পারে, কিন্তু তবুও ঐতিহাসিকদেরকে তথ্যগুলো ব্যাখ্যা করে তা বৃহত্তর ঐতিহাসিক বর্ণনা বা কোনো ব্যক্তির জীবনীচিত্রে সংযুক্ত করতে হয়। পাশাপাশি, “কঠোর পরিসংখ্যান, যেমন জন্ম ও মৃত্যুহার, বিবাহের গড় বয়স, সাক্ষরতার হার, এবং পরিবারের আকার... এগুলো আমাদের মানুষের অভিজ্ঞতা, চিন্তা ও অনুভূতি সম্পর্কে ধারণা করতে সহায়তা করে” (পৃষ্ঠা ১৪৩)। <ref name="S2" /> অবশ্যই, অতীত সম্পর্কে আমাদের অনুমান করার সীমাবদ্ধতা রয়েছে; তবে সেইক্সাস ও মর্টন (২০১৩) প্রস্তাব করেন, অতীত সম্পর্কে আমরা কী জানি না, তা স্বীকার করাও “সুস্থ ঐতিহাসিক চিন্তার” অংশ (পৃষ্ঠা ১৪৩)। <ref name="S2" /> শিক্ষার্থীরা অতীত ও বর্তমান জীবনধারা ও দৃষ্টিভঙ্গির পার্থক্য পর্যবেক্ষণ করে, যেসব মানবিক বৈশিষ্ট্য সময় অতিক্রম করে বিদ্যমান থাকে (যেমন সন্তানের প্রতি ভালোবাসা), তা চিহ্নিত করে এবং '''বর্তমানতাবাদ''' ও '''কালগত ভুল''' এড়িয়ে ঐতিহাসিক দৃষ্টিভঙ্গি অনুশীলন করতে পারে। <ref name="S2" /> ঐতিহাসিক দৃষ্টিভঙ্গির গভীরতর বোঝাপড়া শিক্ষার্থীদের সহায়তা করবে যখন তারা বিরোধপূর্ণ ঐতিহাসিক ব্যাখ্যার মুখোমুখি হবে। কারণ তারা দেখতে পারবে ঐতিহাসিক ব্যক্তিরা কোন প্রেক্ষাপট থেকে এসেছে এবং সে অনুযায়ী তাদের কর্মকাণ্ড বুঝতে পারবে। ঐতিহাসিক দৃষ্টিভঙ্গি ও নৈতিকতা একে অপরের সাথে সম্পর্কযুক্ত। সেইক্সাস ও মর্টন (২০১৩) যুক্তি দেন, “ঐতিহাসিক চিন্তার নৈতিক মাত্রা ইতিহাস অধ্যয়নে অর্থ প্রদান করে” (পৃষ্ঠা ১৭০)। <ref name="S2" /> কোনো ব্যক্তির কর্মকাণ্ডের নৈতিক কারণ বোঝার জন্য আমাদের ঐতিহাসিক, ভৌগোলিক ও সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপটের প্রভাব বুঝতে হয়। পাশাপাশি, অতীতের নৈতিক পরিণতি বোঝার জন্য আমাদের নৈতিক মূল্যায়ন করতে হয়। এটি “সহানুভূতিশীল বোঝাপড়া [চাই]; তাদের ও আমাদের নৈতিক জগতের পার্থক্য বোঝা” (সিক্সাস এবং পেক, ২০০৪, পৃষ্ঠা ১১৩)। <ref>Seixas, P., & Peck, C. (2004). Teaching Historical Thinking. Challenges and Prospects for Canadian Social Studies, 109–117.</ref> ঐতিহাসিক চিন্তার অভিজ্ঞতা কম থাকলে শিক্ষার্থীরা বর্তমান সমাজের নৈতিক মানদণ্ড থেকে অতীতকে আলাদা করে ভাবতে পারে না। এছাড়াও, শিক্ষার্থীরা প্রায়শই অন্যান্য সংস্কৃতিকে নিজেদের সংস্কৃতির তুলনায় বেশি সমালোচনামূলক দৃষ্টিতে দেখে; অনেক সময় নিজেদের জাতির কর্মকাণ্ডকে সমর্থন বা যৌক্তিকতা দেয়। <ref name="L">Lopez, C., Carretero, M., & Rodriguez-Moneo, M. (2014). Telling a national narrative that is not your own. Does it enable critical historical consumption? Culture & Psychology , 20 (4 ), 547–571. http://doi.org/10.1177/1354067X14554156</ref> তাই, লোপেজ, কারেতেরো এবং রদ্রিগেজ-মোনেও (২০১৪) প্রস্তাব করেন, শিক্ষার্থীদের নিজেদের দেশের বাইরে অন্য জাতির জাতীয় বর্ণনা বিশ্লেষণে ব্যবহার করলে সমালোচনামূলক ঐতিহাসিক চিন্তা আরও কার্যকরভাবে বিকাশ লাভ করে। যখন শিক্ষার্থীরা অতীতের নৈতিক সিদ্ধান্ত বিশ্লেষণে দক্ষ হয়, তখন তারা এই দক্ষতা বর্তমান সময়ের নৈতিক প্রশ্ন বিশ্লেষণে প্রয়োগ করতে পারে। ভূমিকাভিত্তিক অভিনয় ঐতিহাসিক দৃষ্টিভঙ্গি শেখানোর একটি কার্যকর শিক্ষণ কৌশল। ঐতিহ্যগত, সামনাসামনি শ্রেণিকক্ষে নাট্যভিত্তিক ভূমিকা পালন, বিতর্ক এবং মক ট্রায়াল পরিচালনা করা যায় যেখানে শিক্ষার্থীরা ইতিহাসের কোনো ব্যক্তি বা সামাজিক গোষ্ঠীর ভূমিকায় অভিনয় করতে পারে। এছাড়াও, শিক্ষামূলক গেম এবং ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এই কৌশলের সাথে প্রযুক্তির একত্রীকরণ করা যায়। হুইটওয়ার্থ ও বারসন (২০০৩) দেখতে পান যে ১৯৯০-২০০০ এর দশকে সামাজিক বিজ্ঞানের শ্রেণিকক্ষে প্রযুক্তি মূলত ইন্টারনেটকে শ্রেণিকক্ষে ব্যবহৃত উপকরণের ডিজিটাল সংস্করণ হিসেবে ব্যবহারে সীমাবদ্ধ ছিল। তারা প্রস্তাব করেন, প্রযুক্তির বিকল্প ব্যবহার—যেমন অনুসন্ধানভিত্তিক ওয়েবকোয়েস্ট, সিমুলেশন, এবং সহযোগিতামূলক কর্মপরিবেশ—শিক্ষার্থীদের মধ্যে পারস্পরিক যোগাযোগ ও সমালোচনামূলক চিন্তন দক্ষতা বাড়ায়। <ref>Whitworth, S. A., & Berson, M. J. (2003). Computer technology in the social studies: An examination of the effectiveness literature (1996-2001). Contemporary Issues in Technology and Teacher Education [Online serial], 2(4). Retrieved from http://www.citejournal.org/volume-2/issue-4-02/social-studies/computer-technology-in-the-social-studies-an-examination-of-the-effectiveness-literature-1996-2001</ref> ভূমিকা-ভিত্তিক চিন্তা উন্নয়নে সহায়ক শিক্ষণ উপকরণের একটি উদাহরণ হলো মুসে-ম্যাককর্ড-এর অনলাইন গেম সংগ্রহ (http://www.mccord-museum.qc.ca/en/keys/games/)। বিশেষভাবে, ভিক্টোরিয়ান যুগ এবং গর্জে ওঠা বিশের দশকের গেমগুলো শিক্ষার্থীদের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে উপযুক্ত সিদ্ধান্ত নিতে এবং সেই সময়কাল অতিক্রম করতে সহায়তা করে। এই গেমগুলো জাদুঘরের সংশ্লিষ্ট সংস্থানগুলোর সাথে সংযুক্ত। এটি শিক্ষার্থীদের ঐতিহাসিক সময়কাল সম্পর্কে গভীরতর বোঝাপড়া গড়ে তুলতে পারে। ইতিহাসের নৈতিক উপাদান শেখাতে ঐতিহাসিক বর্ণনা, ঐতিহাসিক ঘটনাবলীর উপর নৈতিক অবস্থান নিয়ে বিতর্ক এবং গৌণ তথ্যসূত্র বিশ্লেষণের কৌশল ব্যবহার করা যেতে পারে।
সারাংশে, পেশাদার ঐতিহাসিকদের ইতিহাস অধ্যয়নের কৌশল শিক্ষার্থীদের মধ্যে ঐতিহাসিক চিন্তা উন্নয়নে সহায়ক বলে বিবেচিত হয়। পেশাদার ঐতিহাসিকদের প্রমাণ মিলিয়ে দেখা, উৎস বিশ্লেষণ, এবং ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট প্রতিষ্ঠার মত জ্ঞানীয় প্রক্রিয়াগুলি সেইক্সাস ও মর্টনের ''দ্য বিগ সিক্স হিস্ট্রিকাল থিংকিং কনসেপ্ট'' (''ছয়টি বড় ঐতিহাসিক চিন্তাভাবনার ধারণা'' - ২০১৩)-এ প্রতিফলিত হয়েছে। ঐতিহাসিক চিন্তা শিক্ষার্থীদের সমস্যা সমাধানের দক্ষতা দেয়। এটি তাদের অতীত বোঝার পাশাপাশি বর্তমানের সাথে যুক্ত করে, তাদের দৃষ্টিভঙ্গিকে প্রসারিত করে, প্রচলিত সামাজিক অবস্থাগুলো উপলব্ধি করতে এবং পৃথিবীর সাথে তাদের সম্পর্ক গঠনে প্রভাব ফেলে। ঐতিহাসিক চিন্তা প্রকল্পের ওয়েবপেজ (http://historicalthinking.ca/lessons) এ সমস্ত ঐতিহাসিক দক্ষতার জন্য শিক্ষণ কৌশল দেখা যাবে।
== অ্যাকাডেমিক বিতর্কের মাধ্যমে শিক্ষা ==
''[[চিন্তন ও নির্দেশনা/সমস্যা সমাধান, সমালোচনামূলক চিন্তন ও যুক্তি#glos অ্যাকাডেমিক বিতর্ক|অ্যাকাডেমিক বিতর্কের]]'' পদ্ধতি ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের বিতর্ক ও সমালোচনামূলক চিন্তার দক্ষতা শেখানো একটি কার্যকর উপায় হতে পারে। অ্যাকাডেমিক বিতর্কে চারজনের একটি সহযোগিতামূলক দলকে দুটি জোড়ায় ভাগ করে একটি বিতর্ক বা বিষয়ে বিপরীত অবস্থান দেওয়া হয়, এরপর উভয় জোড়া তাদের নির্ধারিত অবস্থানের পক্ষে যুক্তি দেয়। তারপর তারা তাদের অবস্থান পরিবর্তন করে আবার যুক্তি উপস্থাপন করে, এবং অবশেষে, চারজনের দলটি মিলে একটি সর্বজনীন সমাধানে পৌঁছায় <ref>Johnson, D. W., & Johnson, R. T. (1993). Creative and critical thinking through academic controversy. The American Behavioral Scientist, 37(1), 40-53. Retrieved from https://www.proquest.com/docview/1306753602</ref>। এই কার্যক্রম বিতর্ক ও সমালোচনামূলক চিন্তার উভয় দিক শেখাতে কার্যকর হতে পারে, যদিও এটি কিছুটা পুরনো হতে পারে। কার্যক্রমটি স্বভাবতই বিতর্কমূলক। কারণ শিক্ষার্থীদের দুটি ভিন্ন অবস্থানের জন্য যুক্তি ও দাবির উদ্ভাবন করতে হয়। এই ভারসাম্য বিতর্কের প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটি শিক্ষার্থীদের তাদের নিজস্ব যুক্তি ও বিপক্ষের যুক্তি মূল্যায়নের সুযোগ দেয়। এটি যেকোনো বিতর্কে উপকারী হতে পারে। এছাড়াও, এই কার্যক্রম শিক্ষার্থীদের সমালোচনামূলক চিন্তার কয়েকটি দিক যেমন মূল্যায়ন, যুক্তিবোধ, এবং আত্মপর্যালোচনার সাথে যুক্ত করে। কারণ শিক্ষার্থীদের একটি সমন্বিত সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে হয়। এটি তাদের বিশ্লেষণাত্মক ও উদার মানসিকতা চর্চা করতে বাধ্য করে। এই কার্যক্রম শিক্ষার্থীদের উন্মুক্ত মন ও বিশ্লেষণাত্মক বিতর্কে অংশগ্রহণে উৎসাহিত করে। এটি সমালোচনামূলক চিন্তা ও বিতর্ক দক্ষতা বৃদ্ধিতে সহায়ক।
= শব্দকোষ =
; অ্যাকাডেমিক বিতর্ক
: একটি দ্বি-রাউন্ড বিতর্ক প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে ৪ জনের একটি সমবায় গ্রুপ বিরোধী জোড়ায় বিভক্ত হয় যা একটি বিতর্কে জড়িত। প্রতিটি জুটি তাদের নিজস্ব অবস্থানের জন্য যুক্তি দেয় এবং পরবর্তী রাউন্ডে বিরোধী অবস্থানে স্যুইচ করে।
; অ্যালগরিদম
: পদ্ধতিগুলো নির্দিষ্ট সমস্যাগুলোতে প্রয়োগ করা যেতে পারে যা সঠিকভাবে কার্যকর করা হলে সঠিক উত্তরের নিশ্চয়তা দেয়।
; অ্যানাক্রোনিজম
: এক সময়কালের বৈশিষ্ট্য বা ঘটনাকে অন্য সময়কালের জন্য দায়ী করা।
; বিশ্লেষণ
: আরও অনুমান এবং ব্যাখ্যার অনুমতি দেওয়ার জন্য প্রাসঙ্গিক তথ্য সনাক্তকরণ এবং নির্বাচন।
; যুক্তিতর্ক
: কোনও দাবি বা ধারণাকে সমর্থন বা খণ্ডন করার জন্য যুক্তি ব্যবহার করার প্রক্রিয়া।
; ক্রিটিক্যাল থিংকিং
: তথ্য ওজন, মূল্যায়ন এবং বোঝার সমন্বয়ে একটি প্রতিফলিত চিন্তাভাবনা
; ছাড়
: এক ধরণের যুক্তি যেখানে সাধারণ থেকে নির্দিষ্ট সিদ্ধান্তগুলো তৈরি করা হয়, প্রদত্ত তথ্য
; বর্ণনামূলক মডেল
: একটি নির্দেশমূলক পদ্ধতি যা ব্যাখ্যা করে কীভাবে ভাল চিন্তাভাবনা ঘটে।
; নকশা চিন্তাভাবনা
: শিক্ষার্থী কেন্দ্রিক শিক্ষা একটি বাস্তব-বিশ্বের সমস্যার সমাধান খুঁজে বের করার সাথে জড়িত।
; সরাসরি নির্দেশনা
: একটি গাইডেড লার্নিং পদ্ধতি যা সরাসরি জ্ঞানীয় দক্ষতা শেখায় এবং জ্ঞান স্পষ্টভাবে শিক্ষক থেকে শিক্ষার্থীর কাছে প্রেরণ করা জড়িত।
; স্বভাব [সমালোচনামূলক চিন্তার জন্য]
: বুদ্ধিবৃত্তিক আচরণে জড়িত হওয়ার জন্য একটি ঝোঁক, এই ধরনের আচরণগুলো জড়িত হতে পারে এমন সুযোগগুলোর প্রতি সংবেদনশীলতা এবং সমালোচনামূলক চিন্তনয় জড়িত হওয়ার জন্য একটি সাধারণ ক্ষমতা সহ সচেতনভাবে একটি দক্ষতা চয়ন করার ক্ষমতা।
; ডাইভারজেন্ট থিংকিং
: একাধিক এবং বৈচিত্র্যময় সমাধানের প্রজন্ম এবং পরীক্ষার দ্বারা চিহ্নিত চিন্তাভাবনা।
; ডোমেন নির্দিষ্ট জ্ঞান
: একটি বিশেষ এলাকা বা ক্ষেত্রের জ্ঞান।
; জ্ঞানতাত্ত্বিক বিশ্বাস
: প্রকৃতি ও জ্ঞান অর্জন সম্পর্কে বিশ্বাস।
; মূল্যায়ন
: বিশ্লেষণ, বিচার এবং ওজন করার উপ দক্ষতার জন্য একটি ছাতা শব্দ
; কার্যকরী স্থিরতা
: একটি পক্ষপাত যা কোনও ব্যক্তিকে কেবলমাত্র দৈনন্দিন জীবনে যেভাবে ব্যবহৃত হয় সেভাবে কোনও বস্তু ব্যবহার করতে সীমাবদ্ধ করে।
; অসুস্থ-সংজ্ঞায়িত সমস্যা
: যে সমস্যাগুলোর একটি সুস্পষ্ট লক্ষ্য, সমাধানের পথ বা প্রত্যাশিত উত্তর নেই।
; পরোক্ষ নির্দেশনা
: শিক্ষার্থী কীভাবে শেখানো উপাদানকে ব্যাখ্যা করে তার উপর জোর দিয়ে উপাদানগুলোর শিক্ষার্থী-ভিত্তিক নির্দেশনা
; আনয়ন
: এক ধরণের যুক্তি যেখানে নির্দিষ্ট তথ্য থেকে সাধারণ সিদ্ধান্তে আসা হয়
; অনুমান
: জ্ঞানের দুটি ইউনিটের মধ্যে এক ধরণের সংযোগ বা সমিতি
; অনুসন্ধান ভিত্তিক নির্দেশনা
: ন্যূনতম নির্দেশিত শিক্ষার একটি ফর্ম যা শিক্ষার্থীদের উপকরণগুলোর নিজস্ব বোঝার তৈরি করতে দেয়।
; জ্ঞান
: একজনের কাছে যে তথ্য রয়েছে, এর মধ্যে পরিচিত তথ্যের মধ্যে সংযোগ এবং সমিতি অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে
; মেটাকগনিশন
: জ্ঞান মানুষের নিজস্ব চিন্তা সম্পর্কে থাকে।
; পর্যায়ক্রম
: অতীতকে সময়ের স্বতন্ত্র ব্লকে শ্রেণিবদ্ধ করা (সময়কাল)।
; প্রেসক্রিপশন মডেল
: একটি নির্দেশমূলক পদ্ধতি যা ভাল চিন্তাভাবনার মানদণ্ড এবং বৈশিষ্ট্যগুলো ব্যাখ্যা করে
; উপস্থাপনবাদ
: বর্তমান সময়ের মূল্যবোধ এবং ধারণাগুলো ব্যবহার করে অতীতের ঘটনাগুলো ব্যাখ্যা করার প্রবণতা।
; সমস্যা ভিত্তিক শিক্ষা
: একটি ছাত্র-কেন্দ্রিক পদ্ধতি যেখানে শিক্ষার্থীরা একটি উন্মুক্ত সমস্যা বা প্রশ্ন সমাধানের অভিজ্ঞতার মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট বিষয় সম্পর্কে শিখতে পারে।
; সমস্যা উপস্থাপনা
: সমস্যা সমাধানকারীদের সমস্যাটি আরও ভালভাবে কল্পনা করার অনুমতি দেয় এবং এইভাবে তাদের সমাধানে পৌঁছাতে সহায়তা করে।
; সমস্যা সমাধান
: কগনিটিভ প্রসেসিং 'একটি লক্ষ্য অর্জনের জন্য ব্যবহৃত হয় যখন সমাধানকারীর কাছে কোনও সমাধান স্পষ্ট হয় না।
; উৎপাদন
: তর্কের প্রজন্ম
; প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা
: একটি ছাত্র-কেন্দ্রিক পদ্ধতি যেখানে শিক্ষার্থী একটি নির্দিষ্ট নকশা প্রক্রিয়ার মাধ্যমে একটি জটিল চ্যালেঞ্জের প্রতিক্রিয়া জানায়।
; স্ব-নিয়ন্ত্রণ
: নিজের শেখার ক্ষেত্রে মেটাকগনিটিভ, আচরণগতভাবে এবং অনুপ্রেরণামূলকভাবে সক্রিয় হওয়ার প্রক্রিয়া
; দক্ষতা কর্মসূচী
: সমস্যা সমাধানের মতো বিকল্প শিক্ষণ পদ্ধতির মাধ্যমে সিটি দক্ষতার বিকাশের সুবিধার্থে নকশা করা শিক্ষামূলক পাঠ্যক্রম
; সুসংজ্ঞায়িত সমস্যা
: যে সমস্যাগুলোর একটি সুস্পষ্ট লক্ষ্য, সমাধানের পথ বা প্রত্যাশিত উত্তর নেই।
= প্রস্তাবিত পাঠ =
# আব্রামি, পি.সি., বার্নার্ড, আর.এম., বোরোখভস্কি, ই., ওয়েড, এ., সার্কস, এম.এ., তামিম, আর., এবং ঝাং, ডি (২০০৮)। সমালোচনামূলক চিন্তন দক্ষতা এবং স্বভাবগুলোকে প্রভাবিত করে এমন নির্দেশমূলক হস্তক্ষেপ: একটি পর্যায় ১ মেটা-বিশ্লেষণ। শিক্ষাগত গবেষণা পর্যালোচনা, ৭৮ (৪)। ১১০২-১১৩৪. ডিওআই: ১০.৩১০২ / ০০৩৪৬৫৪৩০৮৩২৬০৮৪।
# Phan, H.P. (২০১০)। শিক্ষণ এবং শেখার ক্ষেত্রে একটি স্ব-নিয়ন্ত্রক প্রক্রিয়া উপাদান হিসাবে সমালোচনামূলক চিন্তন। সাইকোথেমা, ২২ (২)। ২৮৪-২৯২.
# Kozulin, A. & Presseisen, B.Z. (১৯৯৫)। মধ্যস্থতা শেখার অভিজ্ঞতা এবং মনস্তাত্ত্বিক সরঞ্জাম: শিক্ষার্থী শেখার একটি গবেষণায় ভাইগটস্কি এবং ফয়েরস্টাইনের দৃষ্টিভঙ্গি। শিক্ষাগত মনোবিজ্ঞানী, ৩০ (২), ৬৭-৭৫।
# Crowell, A., & Kuhn, D. (২০১১)। তরুণ কিশোর-কিশোরীদের চিন্তাভাবনা বিকাশের বাহন হিসাবে সংলাপমূলক যুক্তি। মনস্তাত্ত্বিক বিজ্ঞান, ২২ (৪), ৫৪৫-৫৫২। ডিওআই: ১০.১১৭৭ / ০৯৫৬৭৯৭৬১১৪০২৫১২।
== বহিঃসংযোগ ==
81onx4gd70itbcizbtgm9ho1a7yufuk
85805
85803
2025-07-07T22:47:25Z
NusJaS
8394
/* উইগিন্স ও ম্যাকটাই-এর ছয়টি অনুধাবন দিক */
85805
wikitext
text/x-wiki
আমরা প্রতিনিয়ত এমন বহু অস্পষ্টতা, মিথ্যা তথ্য, চ্যালেঞ্জ কিংবা পরিস্থিতির মুখোমুখি হই যা আমাদের ''[[চিন্তন ও নির্দেশনা/সমস্যা সমাধান, সমালোচনামূলক চিন্তন ও যুক্তি#glos সমালোচনামূলক চিন্তন|সমালোচনামূলক চিন্তন]],'' ''[[চিন্তন ও নির্দেশনা/সমস্যা সমাধান, সমালোচনামূলক চিন্তন ও যুক্তি#glos সমস্যা সমাধানের দক্ষতা|সমস্যা সমাধানের দক্ষতা]]'', এবং ''[[চিন্তন ও নির্দেশনা/সমস্যা সমাধান, সমালোচনামূলক চিন্তন ও যুক্তি#glos যুক্তি প্রদর্শনের দক্ষতা|যুক্তি প্রদর্শনের দক্ষতা]]'' প্রয়োগের দাবি রাখে। যদিও এই তিনটি শব্দ প্রায়ই একে অপরের পরিবর্তে ব্যবহার করা হয়, তবে এগুলোর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য রয়েছে। সমালোচনামূলক চিন্তন আমাদের পাঁচটি ইন্দ্রিয়ের মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্যের সাথে সক্রিয়ভাবে যুক্ত হতে এবং সেসব তথ্য নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা করতে সক্ষম করে। এটি আমাদের জ্ঞান বিশ্লেষণ, সমালোচনা, প্রয়োগ এবং নতুন ধারণা তৈরির ক্ষমতা প্রদান করে। সমালোচনামূলক চিন্তনকে সমস্যার সমাধান ও যুক্তি প্রদর্শনের একটি বিস্তৃত জ্ঞানগত দক্ষতা হিসেবে ধরা যায়। সমালোচনামূলক চিন্তনের মাধ্যমে আমরা কিছু যৌক্তিক সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারি, তবে সবসময় একটি নির্দিষ্ট 'সঠিক' ধারণা থাকে না। যা আমাদের কাছে 'সঠিক' মনে হয়, তা প্রায়ই খুবই বিষয়ভিত্তিক।
সমস্যা সমাধান হচ্ছে সমালোচনামূলক চিন্তনের একটি রূপ। এখানে শিক্ষার্থীদের এমন সিদ্ধান্ত নিতে হয়। এটি একটি নির্দিষ্ট সঠিক উত্তরের পরিবর্তে সম্ভাব্য সেরা সমাধান খুঁজে বের করার দিকে পরিচালিত করে। সেই সমস্যা বা সমাধান সুনির্দিষ্ট হোক বা অস্পষ্ট হোক, তা-ই হবে। সমস্যার সমাধানে অংশগ্রহণের একটি উপায় হলো জ্ঞানীয় শিক্ষক বা কগনিটিভ টিউটরের মতো টিউটর সিস্টেম ব্যবহার করা। এটি শিক্ষার্থীদের জন্য সমস্যা স্বনির্ধারণ করতে পারে। এটি তাদের শেখার অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করে। সমস্যার সমাধানের ক্ষেত্রে একটি বিশেষ পদ্ধতি হলো প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা। এখানে শিক্ষার্থীকে একটি কেন্দ্রীয় প্রশ্ন সমাধানের উপর গুরুত্ব দিয়ে শেখার কেন্দ্রে রাখা হয় এবং একটি বিস্তৃত অনুসন্ধানের মধ্য দিয়ে শেখানো হয়। সমস্যা ভিত্তিক শিক্ষা বাস্তব জীবনের সমস্যা নিয়ে কাজ করে যা শিক্ষার্থীদের বাস্তব অভিজ্ঞতার মাধ্যমে শেখাতে অনুপ্রাণিত করে। আরও একটি পদ্ধতি নকশা চিন্তন। এটি একটি নির্দিষ্ট কাঠামো ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের প্রকৃত সমস্যা সমাধানের জন্য একটি প্রোটোটাইপ তৈরি করতে উৎসাহিত করে। এই প্রক্রিয়াটিতে সহানুভূতি, বাস্তবসম্মত নকশা নীতিমালা এবং প্রোটোটাইপিং এর পরিশোধন প্রমাণ করে এখানে সমালোচনামূলক চিন্তন সক্রিয়ভাবে কাজ করছে।
একইভাবে, যুক্তি প্রদর্শন একটি সমালোচনামূলক চিন্তার প্রক্রিয়া। এখানে একক উত্তর না থাকলেও চিন্তা-ভাবনার মধ্যে আলোচনার প্রয়োজন পড়ে। যুক্তি প্রদর্শন বিশেষভাবে একটি দাবি বা ধারণাকে সমর্থন বা খণ্ডন করার জন্য যৌক্তিক ব্যাখ্যা ব্যবহার করে। তুলনামূলকভাবে, সমস্যা সমাধান হয়তো এমন একটি সমাধানে পৌঁছাতে পারে যা প্রমাণভিত্তিক বলে বিবেচিত হয়।
এই অধ্যায়ে এই তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের একটি তাত্ত্বিক পর্যালোচনা প্রদান করা হয়েছে: প্রতিটির বৈশিষ্ট্য, একে অপরের সাথে সম্পর্ক, এবং শ্রেণিকক্ষে বাস্তব প্রয়োগ।
'''শিক্ষার ফলাফল:'''
* সমালোচনামূলক চিন্তনের সংজ্ঞা ও এর জ্ঞানের সাথে পারস্পরিক সম্পর্ক ব্যাখ্যা করা
*
* সমস্যা সমাধানের সংজ্ঞা এবং কীভাবে এটি সমালোচনামূলক চিন্তনের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করে তা ব্যাখ্যা করা
*
* জ্ঞানীয় শিক্ষক কে একটি জ্ঞানীয় শেখার টুল হিসেবে উপস্থাপন করা। এটি সমস্যার সমাধানের মাধ্যমে শেখার মান উন্নত করে
*
* প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা কে সমস্যার সমাধানের একটি নির্দিষ্ট পদ্ধতি হিসেবে অনুসন্ধান করা
*
* নকশা চিন্তন কে প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা-এর একটি উপশ্রেণি হিসেবে বিশ্লেষণ করা এবং শেখার জন্য এর কাঠামো উপস্থাপন করা
*
* যুক্তি প্রদর্শনের সংজ্ঞা এবং এটি কীভাবে সমালোচনামূলক চিন্তার পদ্ধতি ব্যবহার করে তা ব্যাখ্যা করা
*
* যুক্তি প্রদর্শনের জন্য নির্দিষ্ট পদ্ধতি ও প্রয়োগের উপকরণ বিশ্লেষণ করা
= সমালোচনামূলক চিন্তন =
[[চিত্র:Critical_Thinking_Skills_Diagram.jpg|alt=সমালোচনামূলক চিন্তন এবং অন্যান্য জ্ঞানীয় দক্ষতার সাথে এর সম্পর্ক|থাম্ব|সমালোচনামূলক চিন্তন এবং অন্যান্য জ্ঞানীয় দক্ষতার সাথে এর সম্পর্ক]]
সমালোচনামূলক চিন্তন শিক্ষার একটি অত্যন্ত মূল্যবান দিক। মানুষের জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা যত বাড়ে, সমালোচনামূলক চিন্তনের ক্ষমতাও সাধারণত বাড়ে; কিন্তু এই বিকাশ যত তাড়াতাড়ি শুরু করা যায় ততই ভালো। গবেষণায় দেখা গেছে, সমালোচনামূলক চিন্তনের দক্ষতা জ্ঞানের স্থানান্তরের সাথে সম্পর্কযুক্ত, আর এই দক্ষতার অভাব পক্ষপাতদুষ্ট যুক্তির সাথে সম্পর্কিত <ref>Heijltjes, A., Van Gog, T., & Paas, F. (2014). Improving Students' Critical Thinking: Empirical Support for Explicit Instructions Combined with Practice. Applied Cognitive Psychology, 28(4), 518-530.</ref>। শিশুরা প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা শুরু করার আগেই বাড়িতে বাবা-মা ও অভিভাবকদের সাথে পারস্পরিক মিথস্ক্রিয়ার মাধ্যমে সমালোচনামূলক চিন্তন গড়ে তোলে <ref name=":16">Murphy, K. P., Rowe, M. L., Ramani, G., & Silverman, R. (2014). Promoting Critical-Analytic Thinking in Children and Adolescents at Home and in School. Educational Psychology Review, 26(4), 561-578.</ref>। এছাড়াও, স্পষ্ট নির্দেশনা দিলে এই দক্ষতা আরও বাড়ে <ref>Gick, M. L. (1986). Problem-Solving Strategies. Educational Psychologist, 21(1/2), 99-121.</ref>।
সমালোচনামূলক চিন্তন আমাদের এমন সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করে যা আমাদের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে যেমন নির্বাচন। এখানে প্রার্থীরা নিজেদের ও অন্যদের সম্পর্কে পক্ষপাতদুষ্ট তথ্য উপস্থাপন করে, খুব কার্যকর হয়। সমালোচনামূলক চিন্তনের অনুপস্থিতিতে মানুষ মিথ্যা তথ্য ও পক্ষপাতদুষ্ট যুক্তির শিকার হয়ে পড়তে পারে। তাই শিক্ষার্থীদেরকে সমালোচনামূলক চিন্তনের সাথে পরিচিত করানো এবং তারা যেন এটি ব্যবহার করে তা উৎসাহিত করা খুব জরুরি।
=== সমালোচনামূলক চিন্তনের সংজ্ঞা ===
সাধারণভাবে, সমালোচনামূলক চিন্তন বলতে বোঝায় যুক্তি এবং প্রমাণের মূল্যায়নের একটি প্রক্রিয়া। এর মাধ্যমে বিভিন্ন সম্ভাব্য সিদ্ধান্তের মধ্যে সবচেয়ে যথাযথ ও যুক্তিসম্মত সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যায়। এটি একটি গতিশীল এবং প্রতিফলনশীল প্রক্রিয়া। এটি মূলত প্রমাণভিত্তিক <ref name=":15">Ku, K. Y., Ho, I. T., Hau, K., & Lau, E. C. (2014). Integrating direct and ''[[চিন্তন ও নির্দেশনা/সমস্যা সমাধান, সমালোচনামূলক চিন্তন ও যুক্তি#glos Inquiry-Based Instruction|Inquiry_Based Instruction]]'' in the teaching of critical thinking: An intervention study. Instructional Science, 42(2), 251-169.</ref>।
সমালোচনামূলকভাবে চিন্তা করা মানে হলো তথ্যকে নিরপেক্ষভাবে বিশ্লেষণ করা, বিপরীতমুখী মতামত অন্বেষণ করা এবং অবশেষে প্রমাণ ও সুপরিকল্পিত চিন্তার ভিত্তিতে একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছানো। সমালোচনামূলক চিন্তাবিদেরা সরবরাহকৃত তথ্যের বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে, প্রমাণ অনুসন্ধান করে এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও জটিল সমস্যার সমাধানে দ্বিধা করেন না <ref name=":14">Mathews, S. R., & Lowe, K. (2011). Classroom environments that foster a ''[[চিন্তন ও নির্দেশনা/সমস্যা সমাধান, সমালোচনামূলক চিন্তন ও যুক্তি#glos Disposition for Critical Thinking|Disposition for Critical Thinking]]''. Learning Environments Research, 14(1), 59-73.</ref>। প্রশ্ন করা, কোনো বিষয় নিয়ে বিতর্ক করা, এবং তথ্যের উৎসের বিশ্বাসযোগ্যতা পর্যালোচনা করাও সমালোচনামূলক চিন্তার উদাহরণ।
গ্লেজার (১৯৪১) এর মতে, সমালোচনামূলক চিন্তনের তিনটি প্রধান উপাদান আছে: সমালোচনামূলক চিন্তার মানসিকতা, এই চিন্তাভাবনার কৌশল সম্পর্কে জ্ঞান, এবং কৌশলগুলো প্রয়োগ করার সক্ষমতা <ref>Glaser, E. M. (1941). An Experiment in the Development of Critical Thinking. Columbia University.</ref>।
তথ্যকে বিশ্লেষণ ও মূল্যায়নের মতো জ্ঞানীয় প্রক্রিয়াগুলোর মাধ্যমে সমালোচনামূলক চিন্তন কোনো বিষয় বা সমস্যাকে আরও গভীরভাবে বোঝার পথে নিয়ে যায়। চিন্তার একটি প্রতিফলনমূলক রূপ হিসেবে এটি নিজস্ব ধারণা, উদ্দেশ্য, অনুভূতি এবং আচরণ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে <ref name=":13">Phan, H.P. (2010). Critical thinking as a self-regulatory process component in teaching and learning. Psicothema, 22(2). 284-292.</ref>।
{| class="wikitable"
|<big>'''সমালোচনামূলক চিন্তনের উপাদান'''</big>
|-
|''[[চিন্তন ও নির্দেশনা/সমস্যা সমাধান, সমালোচনামূলক চিন্তন ও যুক্তি#glos Knowledge|জ্ঞান]]''
|একটি জ্ঞানের ভিত্তি গড়ে তোলা এবং জ্ঞান অর্জনের জন্য নির্দিষ্ট কৌশল তৈরি করা। এটি নির্দেশনার মাধ্যমে আরও কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
|-
|''[[চিন্তন ও নির্দেশনা/সমস্যা সমাধান, সমালোচনামূলক চিন্তন ও যুক্তি#glos Inference|অনুমান]]''
|বিদ্যমান জ্ঞানের ভিত্তির মধ্যে সংযোগ তৈরি করা ''[[চিন্তন ও নির্দেশনা/সমস্যা সমাধান, সমালোচনামূলক চিন্তন ও যুক্তি#glos Deduction|নির্গমন]]'' এবং/বা ''[[চিন্তন ও নির্দেশনা/সমস্যা সমাধান, সমালোচনামূলক চিন্তন ও যুক্তি#glos Induction|অনুমিতি]]'' এর মাধ্যমে।
|-
|''[[চিন্তন ও নির্দেশনা/সমস্যা সমাধান, সমালোচনামূলক চিন্তন ও যুক্তি#glos Evaluation|মূল্যায়ন]]''
|বিশ্লেষণ, বিচার, ওজন নির্ধারণ, নৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ, সমালোচনা এবং নিজস্ব ও বাহ্যিক তথ্যের প্রতি প্রশ্ন উত্থাপন।
|-
|''[[চিন্তন ও নির্দেশনা/সমস্যা সমাধান, সমালোচনামূলক চিন্তন ও যুক্তি#glos Metacognition|মেটাকগনিশন]]''
|"চিন্তার বিষয়ে চিন্তা" করার প্রক্রিয়া। এর মধ্যে নিজের সিদ্ধান্ত, মতামত বা বিশ্বাসগুলি যথাযথ ও প্রমাণসমর্থিত কি না তা মূল্যায়ন অন্তর্ভুক্ত।
|}
=== সমালোচনামূলক চিন্তন একটি পশ্চিমা ধারণা ===
[[চিত্র:EPSA_General_Assembly.jpg|alt=সমালোচনামূলক চিন্তনকে সব গণতান্ত্রিক নাগরিকদের জন্য অপরিহার্য বলে বিবেচনা করা হয়|থাম্ব|সমালোচনামূলক চিন্তনকে সব গণতান্ত্রিক নাগরিকদের জন্য অপরিহার্য বলে বিবেচনা করা হয়]]
আধুনিক শিক্ষায়, সমালোচনামূলক চিন্তনকে এমন একটি বিষয় হিসেবে বিবেচনা করা হয় যা সকলের শেখা উচিত এবং যা মানুষের সার্বজনীন প্রয়োজন, বিশেষ করে উচ্চশিক্ষায় <ref name=":0">Moon, J. (2007). Critical Thinking: An Exploration of Theory and Practice (1st ed.). London ; New York: Routledge.</ref><ref name=":18">Kurfiss, J. G. (1988). Critical Thinking: Theory, Research, Practice, and Possibilities: ASHE-ERIC/Higher Education Research Report, Volume 17, Number 2, 1988 (1st ed.). Washington, D.C: Jossey-Bass.</ref>। তবে, সমালোচনামূলক চিন্তন একটি মানবিক নির্মাণ <ref name=":19">Board on Testing and Assessment, Division of Behavioral and Social Sciences and Education, & National Research Council. (2011). Assessing 21st Century Skills: Summary of a Workshop. National Academies Press.</ref> – এটি কোনো বৈজ্ঞানিক সত্য নয় – এবং এটি [[w:Ancient_Greek_philosophy|প্রাচীন গ্রিক দর্শন]] ও বিশ্বাসের সাথে গভীরভাবে যুক্ত <ref name=":1">Mason, M. (2009). Critical Thinking and Learning. John Wiley & Sons.</ref>।
এই সংযোগ প্রাচীন গ্রিসের যুক্তিবাদী চিন্তার প্রাধান্য এবং গণতান্ত্রিক নীতির প্রতিফলন করে <ref name=":1" />। এল্ডার ও পল<ref name=":5">Elder, L., & Paul, R. (2009). The Art of Asking Essential Questions (5th Edition). Dillon Beach, CA: Foundation for Critical Thinking</ref>, মুন<ref name=":0" />, এবং স্ট্যানলিক এবং স্ট্রসার<ref name=":6">Paul, R., & Elder, L. (2007). The Thinker’s Guide to The Art of Socratic Questioning. Dillon Beach, CA: The Foundation for Critical Thinking.</ref> সহ বিভিন্ন লেখক বিশ্বাস করেন, সমালোচনামূলক চিন্তনের সূত্রপাত [[w:Socrates|সক্রেটিসের]] সময় থেকেই হয়েছে। মরগান ও স্যাক্সটন (২০০৬) সমালোচনামূলক চিন্তনকে গণতান্ত্রিক নাগরিকদের একটি মৌলিক প্রয়োজনীয়তা হিসেবে দেখেছেন <ref name=":3">Morgan, N., & Saxton, J. (2006). Asking Better Questions (2nd ed.). Markham, ON: Pembroke Publishers.</ref>।
প্রাচীন গ্রিসের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ হলো সক্রেটীয় পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে দুটি বা ততোধিক ব্যক্তির মধ্যে যুক্তিপূর্ণ প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমে আলোচনা হয়। এখানে তারা একে অপরের মতবাদ চ্যালেঞ্জ করে <ref name=":2">Cain, R. B. (2007). The Socratic Method: Plato’s Use of Philosophical Drama. A&C Black.</ref>। এমন আলোচনা বাস্তবতা ও মতামতের দ্বৈততার বিষয় উত্থাপন করে। এখানে একটি ‘সঠিক উত্তর’ খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা করা হয়, তবে এই পদ্ধতির মধ্য দিয়েই মতবাদের বিষয়ভিত্তিকতা ফুটে ওঠে <ref name=":2" />।
এই প্রাচীন গ্রিক সংযোগের কারণে সমালোচনামূলক চিন্তনকে সাধারণত একটি পশ্চিমা ধারণা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ ধারণা আরও জোরালো হয় [[w:Bloom's_taxonomy|ব্লুমের শ্রেণিবিন্যাস]] নামক আরেকটি পশ্চিমা কাঠামোর মাধ্যমে। এটি আধুনিক শিক্ষায় সমালোচনামূলক চিন্তনের মূলে বিবেচিত <ref>Harmon, D. A., & Jones, T. S. (2005). Elementary Education: A Reference Handbook. ABC-CLIO.</ref>।
যেহেতু সমালোচনামূলক চিন্তন একটি মানবিক নির্মাণ, তাই এটি কেমন হওয়া উচিত তা ব্যক্তি থেকে ব্যক্তিভেদে ভিন্ন হতে পারে। মুন (১৯৯৭) তার কর্মশালাগুলো থেকে সমালোচনামূলক চিন্তনের ২১টি সাধারণ সংজ্ঞা তুলে ধরেছেন এবং তারপর নিজের ২-পৃষ্ঠার সংজ্ঞা প্রদান করেছেন <ref name=":0" />। একটি মতামত অনুসারে, সমালোচনামূলক চিন্তন এমন একটি দক্ষতার সমষ্টি যা কাউকে যুক্তিযুক্ত সিদ্ধান্ত নিতে এবং এমন প্রেক্ষাপটে সিদ্ধান্ত দিতে সক্ষম করে যেখানে পূর্ব জ্ঞান বিদ্যমান <ref name=":19" />। আরেকটি মত অনুযায়ী, এটি একটি পদ্ধতিগত যুক্তি ও বিশ্লেষণের ব্যবহার। এটি সবসময় প্রমাণভিত্তিক না হলেও যুক্তিনির্ভর ও বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করে <ref>Stanley, T., & Moore, B. (2013). Critical Thinking and Formative Assessments: Increasing the Rigor in Your Classroom. Routledge.</ref>। শেষ পর্যন্ত মুন এর মতে, সমালোচনামূলক চিন্তনের নির্দিষ্ট কোনো সঠিক বা ভুল সংজ্ঞা নেই <ref name=":0" />।
=== বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলে সমালোচনামূলক চিন্তন ===
গবেষকেরা যুক্তি দেন, সমালোচনামূলক চিন্তনের ধারণাটি যদিও পশ্চিমা, গণতান্ত্রিক দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্কিত, তবে এর অর্থ এই নয় যে অন্যান্য অ-পশ্চিমা সংস্কৃতিগুলোর মধ্যে সমালোচনামূলক চিন্তন সংক্রান্ত অনুরূপ কোনো গঠন বা চর্চা নেই <ref name=":4">Jung, I., Nishimura, M., & Sasao, T. (2016). Liberal Arts Education and Colleges in East Asia: Possibilities and Challenges in the Global Age. Springer.</ref>। বরং, “যুক্তি প্রদর্শনের বিভিন্ন পন্থা বা রূপ বিদ্যমান” <ref>Mason, M. (2009). Critical Thinking and Learning. John Wiley & Sons. p. 8.</ref>; যেমন, এশীয় অঞ্চলে বিতর্ক করার পদ্ধতিতে একে অপরের বিরোধী মতামতের মধ্যে সংযোগ খোঁজার চেষ্টা করা হয় যাতে এই মতাদর্শগুলো সহাবস্থান করতে পারে <ref name=":4" />। এটি পূর্বাচলিত মুখরক্ষা মূল্যবোধের কারণে ঘটে <ref name=":02" />। এর বিপরীতে, পশ্চিমা পন্থাগুলোকে প্রায়ই প্রতিযোগিতামূলক হিসেবে দেখা হয়: যেখানে অন্যের মতামত আক্রমণ করে নিজের অবস্থান রক্ষা করা হয়। যদিও এই বিভাজনমূলক সাধারণীকরণ বিদ্যমান, পূর্ব ও পশ্চিমা পন্থার মধ্যে বাস্তবিক দৃষ্টিকোণ থেকে অনেক মিল রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, এশীয় কূটনৈতিক বিতর্কপদ্ধতির ক্ষেত্রে যেমন সমঝোতা এবং আলোচনার প্রয়োজন হয়, তেমনি পশ্চিমা পন্থাগুলোর মধ্যেও এসব উপাদান থাকে কারণ ধারণাগুলো অনেক সময় জটিল হয় এবং অনেকগুলো 'সঠিক' উত্তর থাকতে পারে <ref name=":32" />। অনুরূপভাবে, অন্যান্য সংস্কৃতিগুলো কতটা পশ্চিমা সমালোচনামূলক চিন্তনের ধারণা গ্রহণ করে তা সংস্কৃতিগত মূল্যবোধ দ্বারা নির্ধারিত হয়। উদাহরণস্বরূপ, মুসলিম সংস্কৃতিগুলোতে সমালোচনামূলক চিন্তার মূল্য, নিজের মতামত প্রকাশের উপযুক্ততা সম্পর্কিত দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত <ref>Davies, M., & Barnett, R. (2015). The Palgrave Handbook of Critical Thinking in Higher Education. Springer.</ref>।
=== প্রবণতা ও সমালোচনামূলক চিন্তন ===
অনেকে মনে করেন, কেবলমাত্র সমালোচনামূলক চিন্তনের দক্ষতা থাকাই যথেষ্ট নয়—সমালোচনামূলক চিন্তার জন্য একটি '''[[w:Disposition|প্রবণতা]]''' থাকা প্রয়োজন <ref name=":142" />। এই প্রবণতা বা মানসিক প্রস্তুতি কগনিটিভ স্কিল থেকে ভিন্ন। এটি ব্যাখ্যা করা যায় এমন একটি ক্ষমতা হিসেবে। এখানে কেউ সচেতনভাবে একটি দক্ষতা ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নেয়, কেবল তা প্রয়োগ করার সক্ষমতার বাইরে <ref name=":152" />। সমালোচনামূলক চিন্তার প্রবণতার মধ্যে বুদ্ধিবৃত্তিক কার্যকলাপে প্রকৃত আগ্রহ ও দক্ষতা থাকতে পারে। পারকিন্স প্রমুখ (২০০০) এই ধারণাটি প্রসারিত করে বলেন, সমালোচনামূলক চিন্তার প্রবণতার তিনটি দিক রয়েছে: বুদ্ধিবৃত্তিক আচরণে অংশগ্রহণের একটি প্রবণতা; সুযোগগুলো সম্পর্কে সচেতনতা যেখানে এই আচরণগুলো চর্চা করা যায়; এবং সমালোচনামূলক চিন্তায় অংশগ্রহণের একটি সামগ্রিক সক্ষমতা <ref name=":142" />। হালপের্ন (১৯৯৮) উল্লেখ করেন, এই প্রবণতার মধ্যে কঠিন কাজ চালিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা, উদার মনের মানসিকতা এবং পরিকল্পনার অভ্যাস থাকা উচিত <ref name=":142" />। ক্লিফোর্ড প্রমুখ (২০০৪) পরিচালিত একটি কগনিটিভ স্কিল গবেষণায় দেখা গিয়েছে, সমালোচনামূলক চিন্তার প্রবণতা ভালো সমালোচনামূলক চিন্তাধারার দক্ষতার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত <ref name=":152" />।
নিম্নোক্ত বৈশিষ্ট্যগুলো হলো ব্যক্তির মনোভাব বা ব্যক্তিত্বের গুণাবলি, যেগুলো সমালোচনামূলক চিন্তনের দক্ষতা অর্জনে সহায়ক:
# জিজ্ঞাসু মনোভাব
# পদ্ধতিগত চিন্তা
# বিচারক্ষমতা সম্পন্ন
# সত্যান্বেষী
# বিশ্লেষণধর্মী
# উদারমনা
# যুক্তির উপর আস্থা
[[চিত্র:P_religion_world.svg|alt=ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক বিশ্বাস সমালোচনামূলক চিন্তার প্রবণতাকে প্রভাবিত করে|থাম্ব|ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক বিশ্বাস সমালোচনামূলক চিন্তার প্রবণতাকে প্রভাবিত করে]]
অনেকগুলো বিষয়ই কারও সমালোচনামূলক চিন্তার প্রবণতাকে প্রভাবিত করতে পারে; এর মধ্যে প্রথমটি হলো সংস্কৃতি <ref name=":142" />। সংস্কৃতির অনেক দিকই মানুষের সমালোচনামূলক চিন্তার সক্ষমতাকে প্রভাবিত করতে পারে। যেমন, ধর্ম অনেক সময় এই দক্ষতার বিকাশে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে <ref name=":142" />। অনেক ধর্মই বিশ্বাসের উপর প্রতিষ্ঠিত। এখানে প্রমাণ ছাড়াই অন্ধ বিশ্বাসের প্রয়োজন হয়। সংগঠিত ধর্মের এই বৈশিষ্ট্যটি সমালোচনামূলক চিন্তার মূল ভিত্তির বিরোধিতা করে। কারণ সমালোচনামূলক চিন্তা মূলত যেকোনো দাবির যথার্থতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা মূল্যায়ন করে। এমন পরিবেশে বেড়ে ওঠা একটি শিশুর এই দক্ষতা বিকাশে অন্তরায় হতে পারে। এই ধরনের পরিবেশ ধর্মীয় বিশ্বাস প্রশ্নবিদ্ধ করার প্রবণতা বা ধর্মের গ্রহণযোগ্যতা বিশ্লেষণের মনোভাবকে দমন করতে পারে। আরেকটি সাংস্কৃতিক উপাদান হলো কর্তৃত্ব <ref name=":142" />। একজন শিশু যদি কর্তৃত্ববাদী অভিভাবকত্বে বেড়ে ওঠে, তবে তাদের জীবনের অনেক দিকেই নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে, কিন্তু বিশেষভাবে সমালোচনামূলক চিন্তার ওপর এর প্রভাব বেশি পড়ে। কারণ সেখানে কর্তৃত্বের বিশ্বাসযোগ্যতা প্রশ্ন করা শেখানো হয় না এবং কেউ করলে তাকে শাস্তি দেওয়া হয়। এই একই বিষয় শ্রেণিকক্ষেও প্রযোজ্য <ref name=":142" />। শ্রেণিকক্ষের এমন পরিবেশ। এখানে শিক্ষকেরা মুক্ত আলোচনার পরিবেশ তৈরি করেন না বা শিক্ষার্থীদের শেখানো বিষয়ে প্রশ্ন তুলতে দেন না, তা সমালোচনামূলক চিন্তার বিকাশে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। যেখানে প্রশ্ন করা নিরুৎসাহিত করা হয় বা বাড়িতে অভিভাবকীয় কর্তৃত্ব খুব বেশি, সেসব পরিবেশ শিক্ষার্থীদের চিন্তার স্বাধীনতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। উপরন্তু, এসব শিক্ষার্থী হয়তো আজীবন এমন পরিবেশে অভ্যস্ত হয়ে ওঠে <ref name=":142" />। তবে, এই সাংস্কৃতিক সীমাবদ্ধতাগুলো সত্ত্বেও, ঘর ও শ্রেণিকক্ষে সমালোচনামূলক চিন্তার প্রবণতা গড়ে তোলার উপায় রয়েছে।
শ্রেণিকক্ষের গঠনই এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায়। এর মাধ্যমে এই প্রবণতাগুলোকে উৎসাহিত করা যায়। এমন শ্রেণিকক্ষের কাঠামো তৈরি করা। এখানে শিক্ষার্থীরা কী পড়বে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে পারে, তা সমালোচনামূলক চিন্তা প্রবণতা গঠনে সহায়ক হতে পারে <ref name=":142" />। এ ধরনের কাঠামো শিক্ষার্থীদের শেখার বিষয়ের প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি করে এবং সেই সঙ্গে এমন একটি শ্রেণিকক্ষের পরিবেশ তৈরি করে যেখানে শিক্ষার্থীরা শিক্ষক এবং সহপাঠীদের মতামত ও বিশ্বাস সম্পর্কে প্রশ্ন তুলতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে। শিক্ষার্থীদের দেওয়া তথ্য বিশ্লেষণ ও মূল্যায়নের স্বাধীনতা দেওয়া, এমন একটি শ্রেণিকক্ষের পরিবেশ তৈরি করে যেখানে সমালোচনামূলক চিন্তা প্রবণতা বিকাশ সম্ভব। এই স্বাধীনতা শিক্ষার্থীদের বৃহত্তর শ্রেণিকক্ষ কাঠামোর ভেতরেও স্বতন্ত্র ব্যক্তি হিসেবে গড়ে ওঠার সুযোগ দেয় এবং তাদের নিজের সিদ্ধান্ত নিজেরাই নেওয়ার ক্ষমতা অর্জনের পথ করে দেয়। শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের ক্ষমতা ভাগ করে দেওয়া তাদের উদ্দীপনা ধরে রাখা ও বিশ্লেষণধর্মী মনোভাব গড়ে তোলার ক্ষেত্রে অত্যন্ত কার্যকর হতে পারে <ref name=":142" />। শিক্ষকরা শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের স্বতন্ত্রতা গঠনের জন্য বিভিন্ন কৌশল ব্যবহার করতে পারেন। শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন ভূমিকা পালন করতে দেওয়া যেতে পারে, যেমন পূর্বানুমান করা বা সমস্যা বিশ্লেষণ করা <ref name=":142" />। শিক্ষার্থীদের সামনে উপস্থাপিত সমস্যাগুলোতে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করতে দেওয়া, কেবল পাঠ্যপুস্তক বা শিক্ষকের মতামত শেখানো নয়, বরং নিজের মত গঠনের জন্য শিক্ষার্থীদের স্বাধীনতা দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। এর পাশাপাশি, বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করা ও বিশ্লেষণ করাও সমালোচনামূলক চিন্তা প্রবণতা গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এতে শিক্ষার্থীরা নিজেরাই তথ্য খুঁজে বের করে, বিশ্লেষণ করে এবং নিজস্ব সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারে <ref name=":142" />। এইভাবে শিক্ষার্থীরা তাদের পূর্বানুমান ও গবেষণার ফলাফল বিশ্লেষণ করে সেই ধারণাগুলোর যথার্থতা মূল্যায়ন করতে পারে <ref name=":142" />।
=== আত্ম-নিয়ন্ত্রণ ও সমালোচনামূলক চিন্তন ===
শিক্ষকদের উচিত, সমালোচনামূলক চিন্তা শেখানোর পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের '''[[w:আত্ম-নিয়ন্ত্রণ|আত্ম-নিয়ন্ত্রণ]]''' বজায় রাখার দিকেও নজর দেওয়া। নতুন কোনো দক্ষতা শেখার সময় শিক্ষার্থীদের তাদের শেখার প্রতি মোটিভেশন বজায় রাখতে এবং আত্মপ্রণোদিত মনোভাব রাখার প্রয়োজন হয়। ফ্যান (২০১০)-এর একটি প্রবন্ধে বলা হয়েছে। এরা আত্ম-নিয়ন্ত্রিত শিক্ষার্থী, তারা লক্ষ্যের প্রতি বেশি মনোযোগী হয়, নিজেদের শেখার জন্য আরও বেশি দায়িত্বশীল হয়, তাদের মোটিভেশন বজায় থাকে, এবং তারা কগনিটিভভাবে আরও নমনীয় হয়। এর ফলে তারা সমালোচনামূলক চিন্তা চর্চায় আগ্রহী হয়। যেহেতু সমালোচনামূলক চিন্তন দক্ষতা অত্যন্ত প্রতিফলনমুখী, তাই তা আত্ম-নিয়ন্ত্রিত শিক্ষায় সহায়তা করে এবং বিপরীতভাবে আত্ম-নিয়ন্ত্রণমূলক কৌশলগুলো সমালোচনামূলক চিন্তন দক্ষতা গঠনে সহায়তা করে <ref name=":132" />।
[[চিন্তন ও নির্দেশনা/সমস্যা সমাধান, সমালোচনামূলক চিন্তন ও যুক্তি#আত্ম-নিয়ন্ত্রণ|আত্ম-নিয়ন্ত্রণ]] শিক্ষার্থীদের সক্রিয়ভাবে শেখার জন্য প্রয়োজনীয় মৌলিক মেটা-কগনিটিভ সচেতনতা দেয়। এই সচেতনতা শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন, প্রতিফলন এবং যুক্তিসিদ্ধ সিদ্ধান্ত নেওয়ার মতো সমালোচনামূলক চিন্তা প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণে সহায়তা করে। নিজের চিন্তাভাবনা মূল্যায়নের মেটা-কগনিটিভ ক্ষমতার মাধ্যমে, একজন শিক্ষার্থী শেখার ক্ষেত্রে আত্মনির্ভরশীল হয়ে উঠতে পারে <ref name=":132" />। প্রতিটি কাজে একজন তত্ত্বাবধায়ক থাকা না লাগলেও শিক্ষার্থী নিজেই নিজের অগ্রগতি মূল্যায়ন করে নিজস্ব গতিতে এগিয়ে যেতে পারে, এটাই SRL-এর মূলনীতি। এই প্রক্রিয়ার অংশ হলো একজন শিক্ষার্থীর নিজস্ব কৌশল নিয়ে নিয়মিতভাবে প্রতিফলন করা। এই প্রতিফলন সমালোচনামূলক চিন্তার মাধ্যমে শিক্ষার্থীর শেখার পদ্ধতি অনুযায়ী উপযুক্ত কৌশল বেছে নিতে সাহায্য করে।
সমালোচনামূলক চিন্তার জটিল প্রকৃতি ইঙ্গিত করে এটি একটি দীর্ঘমেয়াদী বিকাশ প্রক্রিয়া। এখানে দিকনির্দেশনা, চর্চা ও পুনরাবৃত্তি প্রয়োজন। এই প্রক্রিয়াকে সহজ করতে, আত্ম-পর্যবেক্ষণ আত্ম-নিয়ন্ত্রণের প্রাথমিক ধাপ হিসেবে কাজ করে। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা তাদের নিজের শিক্ষা অর্জনের প্রতিফলন শুরু করতে পারে। এই মূল্যায়ন অ্যাকাডেমিক সক্ষমতা সম্পর্কে মোটিভেশনাল বিশ্বাস সৃষ্টি করে আত্ম-দক্ষতা বৃদ্ধি করে <ref name=":132" />। এরপর চর্চার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা তাদের সমালোচনামূলক চিন্তন দক্ষতাকে নিজেদের পরিধি ছাড়িয়ে শিক্ষাগত প্রেক্ষাপটে প্রসারিত করতে পারে। নিয়মিত চর্চার মাধ্যমে, শিক্ষার্থীরা তাদের মেটা-কগনিটিভ কৌশলকে দীর্ঘমেয়াদী সমালোচনামূলক চিন্তন দক্ষতা গঠনের ভিত্তি হিসেবে ব্যবহার করতে পারে।
== সমালোচনামূলক চিন্তনের কৌশলসমূহ ==
[[চিত্র:Studysuccessweb.jpg|থাম্ব|ধারণাচিত্র]]
মনোবিজ্ঞানী ও শিক্ষাবিদেরা সমালোচনামূলক চিন্তার বিকাশের জন্য বহু কৌশল আবিষ্কার করেছেন। এই কৌশলগুলোর মধ্যে কিছু খুব পরিচিত, যেমন [[w:ধারণাচিত্র|ধারণাচিত্র]] বা [[w:Venn_diagram|ভেন চিত্র]], আবার কিছু কম পরিচিত যেমন, "আপিল-কোয়েশ্চন স্টিমুলাস স্ট্র্যাটেজি" <ref name=":17">Cibáková, D. (2015). Methods of developing critical thinking when working with educative texts. E-Pedagogium, (2), 135-145.</ref>। ধারণাচিত্র মানচিত্র ধারণা ও বিষয়বস্তুর পারস্পরিক সম্পর্ক চিত্রিত করতে সহায়ক, এবং ভেন চিত্র সাধারণত পরস্পরবিরোধী ধারণা উপস্থাপনের জন্য ব্যবহৃত হয় <ref name=":17" />।
=== ভেন চিত্র ===
[[চিত্র:Venn-and.svg|alt=ভেন ডায়াগ্রাম|থাম্ব|ভেন চিত্র]]
উচ্চ বিদ্যালয় ৭ম শ্রেণি থেকেই গণিতে সেট অধ্যায়ে ভেন চিত্র প্রায়ই ব্যবহৃত হয়। অন্য পর্যায়েও তুলনামূলক বিশ্লেষণের জন্য এটি ব্যবহৃত হয়। উদাহরণস্বরূপ, বিজ্ঞান ক্লাসে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন গাছ বা প্রাণীর তুলনা ও বিপরীত বৈশিষ্ট্য উপস্থাপনার জন্য ভেন চিত্র তৈরি করতে বলা যেতে পারে। ধারণাচিত্র মানচিত্র প্রাথমিক পর্যায়ে পরিচয় করিয়ে দেওয়া গেলেও তা মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা পর্যায়ে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়। এই ধরনের মানচিত্র শিক্ষার্থীদের পাঠ্যবিষয়ের সঙ্গে যুক্ত থাকতে উৎসাহিত করার একটি সক্রিয় ও বহুমাত্রিক পন্থা।
একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো কনসেপ্ট ম্যাপিং শিক্ষার্থীদের পূর্বে শেখা তথ্য নিয়ে চিন্তা করতে এবং সংযোগ তৈরি করতে উদ্বুদ্ধ করে। প্রাথমিক শ্রেণিগুলোতে, কনসেপ্ট ম্যাপ প্রকল্প হিসেবে উপস্থাপন করা যেতে পারে, আর পরবর্তীতে, যেমন কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে, শিক্ষার্থীরা এটি একটি অধ্যয়ন কৌশল হিসেবে ব্যবহার করতে পারে। প্রাথমিক স্তরে, শিক্ষার্থীরা তাদের পড়া গল্পে চরিত্র, স্থান বা কাহিনির মধ্যে সংযোগ স্থাপনে কনসেপ্ট ম্যাপ ব্যবহার করতে পারে। যখন কনসেপ্ট ম্যাপ পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়, তখন শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের একটি শব্দ বা বাক্যাংশের তালিকা দিতে পারেন এবং শিক্ষার্থীদের নির্দেশ দেন এগুলোর মধ্যে সংযোগ কনসেপ্ট ম্যাপের আকারে চিত্রিত করতে। প্রশ্ন করা একটি সহজ এবং আকর্ষণীয় উপায় হতে পারে সমালোচনামূলক চিন্তার বিকাশের জন্য। শিক্ষকরা উপকরণ নিয়ে শিক্ষার্থীদের প্রশ্ন করে শুরু করতে পারেন এবং তারপর শিক্ষার্থীদের নিজেদের প্রশ্ন তৈরি করতে উৎসাহিত করতে পারেন। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষায়, শিক্ষার্থীরা কোনো উৎসের বিশ্বাসযোগ্যতা যাচাইয়ের জন্য প্রশ্ন ব্যবহার করতে পারে। প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যায়ে, প্রশ্ন ব্যবহার করা যেতে পারে শিক্ষার্থীদের উপকরণ বোঝার ক্ষমতা মূল্যায়নে, এবং একই সঙ্গে তাদের সমালোচনামূলক চিন্তায় উৎসাহিত করতে, যেমন গল্পের চরিত্রদের কার্যকলাপ নিয়ে প্রশ্ন তোলা বা কোনো পরীক্ষার গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে চিন্তা করা। ‘অ্যাপিল-কোয়েশ্চেন স্টিমুলি’। এর প্রবর্তক স্বোবোডোভা, এই পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীরা তাদের পড়া বোঝাপড়া সম্পর্কে প্রশ্ন তোলে <ref name=":172" />।
=== আলোচনা ===
শিক্ষার্থীদের সমালোচনামূলক চিন্তন দক্ষতা বিকাশে আলোচনা একটি বিশেষভাবে কার্যকর কৌশল হতে পারে শিক্ষকদের জন্য। সহপাঠীদের সঙ্গে মিথস্ক্রিয়া কিছু নির্দিষ্ট সমালোচনামূলক চিন্তন দক্ষতা গঠনের ভিত্তি তৈরি করে, যেমন ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ এবং সহযোগিতা। এটি হয়তো সরাসরি শেখানোর মাধ্যমে সহজে শেখানো যায় না। আলোচনার একটি বড় অংশ অবশ্যই ভাষা। ক্লুস্টার (২০০২) বলেছেন, সমালোচনামূলক চিন্তা শুরু হয় প্রশ্ন তোলার মাধ্যমে <ref name=":172" />। অনুরূপভাবে, ভিগোৎসকি উল্লেখ করেছেন যে ভাষাগত দক্ষতা উচ্চস্তরের চিন্তাধারার জন্য অপরিহার্য পূর্বশর্ত হতে পারে <ref name=":162" />। যখন শিশুদের শব্দভাণ্ডার বড় হয়, তখন তারা পাঠ্যবস্তুকে আরও ভালোভাবে বুঝতে পারে এবং তারপরে সে উপকরণ নিয়ে বিমূর্তভাবে চিন্তা করতে পারে এবং সহপাঠীদের সঙ্গে তা নিয়ে চিন্তাশীল আলোচনা করতে পারে <ref name=":162" />।
গবেষণায় দেখা গিয়েছে,, বিভিন্ন বয়সের সহপাঠীদের মধ্যে আলোচনা সমালোচনামূলক চিন্তার বিকাশে বিশেষভাবে সহায়ক হতে পারে। এই ধরনের গ্রুপগুলো কার্যকর হতে পারে কারণ শিশুদের মধ্যে বিভিন্ন বয়সের সহপাঠীদের সঙ্গে কাজ করার সময় সাধারণত বেশি অনুপ্রেরণা দেখা যায় <ref name=":162" />। ছোটরা বড়দের একজন মেন্টর এবং জ্ঞানের উৎস হিসেবে দেখে, আর বড়রা একটি পরিপক্বতা এবং দায়িত্ববোধ অনুভব করে তাদের জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা ছোটদের সঙ্গে ভাগাভাগি করার <ref name=":162" />। এই ধরনের আলোচনায় শিক্ষার্থীরা এমন ভাষা ব্যবহার করার চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয় যা অন্যদের বোধগম্য হয় <ref name=":162" />। একটি প্রচলিত উদাহরণ হলো কানাডীয় বিদ্যালয়গুলোর “বড় বন্ধু” প্রোগ্রাম। এখানে উচ্চ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নিম্ন শ্রেণির একজন শিক্ষার্থীকে বছরের জন্য সহায়তা করার জন্য নিযুক্ত করা হয়। বড় বন্ধুরা ছোট বন্ধুদের প্রকল্প, পরামর্শ বা স্কুল ইভেন্টে সাহায্য করতে পারে। এই প্রোগ্রামগুলো কার্যকর কারণ ছোটরা তাদের বড় বন্ধুদের অনুসরণ করে এবং বড়রা তাদের ছোটদের সহায়তা করতে একটি দায়িত্ববোধ অনুভব করে। হ্যাটি (২০০৬) বলেছেন, এই আলোচনা অবশ্যই একজন শিক্ষকের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত অত্যন্ত সংগঠিত কার্যক্রম হওয়া উচিত। এটিতে শিক্ষার্থীরা তাদের দায়িত্ব সম্পর্কে স্পষ্ট থাকে <ref name=":162" />।
==== শ্রেণিকক্ষের পরিবেশ ====
একটি শ্রেণিকক্ষ যেখানে শিক্ষার্থীরা প্রশ্ন করতে এবং তাদের ধারণা ভাগ করতে নিরাপদ বোধ করে, তা সমালোচনামূলক চিন্তাকে উৎসাহিত করার জন্য অত্যন্ত মূল্যবান। গবেষণায় দেখা গেছে, যখন শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষের সংগঠন ও কার্যক্রম পরিকল্পনায় অংশগ্রহণ করতে পারে, তখন তারা সমালোচনামূলক চিন্তার প্রতি বেশি ঝোঁক দেখায় <ref name=":143" />। এমন শ্রেণিকক্ষে শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষের কার্যপদ্ধতি নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় সক্রিয়ভাবে অন্তর্ভুক্ত করতে উৎসাহিত করেন <ref name=":143" />। একই সঙ্গে, শিক্ষকদের উচিত কাঙ্ক্ষিত ধরণের সমালোচনামূলক চিন্তন নিজেরাই প্রদর্শন করা, যেমন নিজের সিদ্ধান্ত বা কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত নিয়ে সম্মানজনক ও যথাযথভাবে প্রশ্ন তোলা <ref name=":143" />। গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব শ্রেণিকক্ষে শিক্ষকরা উৎসাহী এবং প্রতিক্রিয়াশীল, সেখানে শিক্ষার্থীদের জ্ঞানগত সম্পৃক্ততা তুলনামূলকভাবে বেশি <ref>Garcia, T., & Pintrich, P. R. (1992). Critical Thinking and Its Relationship to Motivation, Learning Strategies, and Classroom Experience. 2-30.</ref>। তাই, শিক্ষকদের উচিত উৎসাহব্যঞ্জক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক হওয়া এবং সম্ভব হলে শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষ পরিকল্পনায় অংশগ্রহণ করতে দেওয়া।
=== সমালোচনামূলক প্রশ্ন ===
গবেষণা ক্রমেই সমর্থন করছে যে সমালোচনামূলক চিন্তা সরাসরি শেখানো সম্ভব <ref name=":7">Halpern, D. F. (2013). Thought and Knowledge: An Introduction to Critical Thinking. Psychology Press.</ref>। শিক্ষায় সমালোচনামূলক প্রশ্নের ব্যবহার বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই প্রশ্নগুলো শেখানোর মাধ্যমে শিক্ষকরা সমালোচনামূলক চিন্তার প্রক্রিয়া দৃশ্যমানভাবে মডেল করেন। শিক্ষায় সমালোচনামূলক চিন্তা শেখানোর অন্যতম সমস্যা হলো শিক্ষার্থীরা কেবল শিক্ষকের সিদ্ধান্ত দেখে, অর্থাৎ তারা দেখতে পায় না যে কীভাবে শিক্ষক এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন <ref name=":182" />। একজন অভিজ্ঞ চিন্তাবিদ অবশ্য প্রশ্ন করে, কিন্তু এই প্রশ্নগুলো সাধারণত মুখে উচ্চারণ করা হয় না। কিন্তু শিক্ষার্থীরা যদি সমালোচনামূলক প্রশ্ন ও চিন্তার কৌশল শিখতে চায়, তাহলে তাদের সেই চিন্তার প্রক্রিয়া দেখতে হবে। প্রশ্ন তৈরির ও তার ধারাবাহিকতা দেখিয়ে চিন্তার ধারাটি বোঝানো সম্ভব।
সমালোচনামূলক প্রশ্ন শেখানোর বিভিন্ন পদ্ধতি আছে। নিচে আলোচিত কাঠামোগুলো সবচেয়ে সুপরিচিত। প্রতিটি কাঠামোর নিজস্ব শক্তি ও দুর্বলতা রয়েছে ব্যবহারযোগ্যতা, জটিলতা এবং সার্বজনীনতার দিক থেকে। প্রতিটি পদ্ধতি সমালোচনামূলক চিন্তাকে আলাদা সংজ্ঞায় সংজ্ঞায়িত করে। ফলে একজন ব্যক্তির সমালোচনামূলক চিন্তার সংজ্ঞা তার নির্দিষ্ট কাঠামোর প্রতি গ্রহণযোগ্যতাকে প্রভাবিত করতে পারে।
[[চিত্র:Sócrates.jpeg|alt= Socrates|থাম্ব|Socrates]]
==== সক্রেটীয় পদ্ধতি ====
পশ্চিমা দৃষ্টিভঙ্গিতে সমালোচনামূলক চিন্তার একটি মূল বৈশিষ্ট্য হলো সমালোচনামূলক প্রশ্নের গুরুত্ব। এটি প্রাচীন গ্রিক সক্রেটীয় পদ্ধতির সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হোক বা নতুন প্রশ্ন তৈরি করা হোক—সমালোচনামূলক চিন্তা সব সময় প্রশ্নের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত, তা স্পষ্ট বা অদৃশ্য, সচেতন বা অসচেতন <ref name=":62" />। ব্রাউন ও কিলি (২০০৬) তাদের সমালোচনামূলক চিন্তার সংজ্ঞা সম্পূর্ণরূপে প্রশ্নের অন্তর্ভুক্তির উপর ভিত্তি করে গড়ে তুলেছেন <ref>Browne, M. N., & Keeley, S. M. (2006). Asking the Right Questions: A Guide to Critical Thinking (8th ed.). Upper Saddle River, N.J: Prentice Hall.</ref>।
সমালোচনামূলক প্রশ্নের উত্তর সব সময় পরীক্ষণযোগ্য নয়। এগুলো যুক্তিপূর্ণ হতে পারে, কিন্তু তারপরও বিকল্প মতামতের অধীন, ফলে সব মতই একযোগে ব্যক্তিগত ও বাস্তবিক হতে পারে। এল্ডার ও পল (২০০৯) এই প্রশ্নগুলোকে তিনটি শ্রেণিতে ভাগ করেছেন <ref name=":52" />:
# এমন প্রশ্ন যেগুলোর সঠিক উত্তর আছে এবং তা জ্ঞান দিয়ে নির্ধারণ করা যায়
# এমন প্রশ্ন যেগুলোর উত্তর ব্যক্তিনির্ভর এবং বিচার করা যায় না
# এমন প্রশ্ন যেগুলো যৌক্তিক এবং প্রমাণভিত্তিক যুক্তি দিয়ে বিচার করা যায়
সমালোচনামূলক প্রশ্ন সম্পর্কিত বইগুলো মূলত সক্রেটীয় পদ্ধতিতে প্রভাবিত এবং ‘ভালো’ ও ‘খারাপ’ প্রশ্নের মধ্যে পার্থক্য করে। ভালো প্রশ্ন হলো যেগুলো প্রাসঙ্গিক এবং যুক্তিনিষ্ঠ, আর খারাপ প্রশ্ন হলো অপ্রাসঙ্গিক, অগভীর এবং এলোমেলোভাবে সাজানো <ref name=":33" /><ref name=":62" />। এল্ডার ও পল (২০০৯) বলেন, “একজন ভালো চিন্তাবিদ এবং খারাপ প্রশ্নকারী একই ব্যক্তি হতে পারে না।”<ref>Elder, L., & Paul, R. (2009). The Art of Asking Essential Questions (5th Edition). Dillon Beach, CA: Foundation for Critical Thinking. p. 3.</ref> অর্থাৎ, কেউ যদি প্রাসঙ্গিক ও যৌক্তিক প্রশ্ন তৈরি করতে না পারে, তবে সে যুক্তিসংগত সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারবে না।
উপরন্তু, শুধুমাত্র সঠিক প্রশ্ন করাই যথেষ্ট নয়। সমালোচনামূলক চিন্তার সঙ্গে জ্ঞানের একটি সরাসরি সম্পর্ক আছে <ref name=":7" />। কেউ হয়তো জ্ঞান রাখে, কিন্তু তা প্রয়োগ করতে জানে না। আবার কেউ প্রশ্ন করতে দক্ষ, কিন্তু সেই উত্তরের গুণমান বিচার করার জন্য প্রয়োজনীয় জ্ঞান নেই।
সক্রেটীয় পদ্ধতিতে সমালোচনামূলক প্রশ্ন শেখানোর ক্ষেত্রে বোঝা গুরুত্বপূর্ণ যে, এখানে কোনো নির্দিষ্ট প্রশ্নের সেট নেই। কারণ প্রয়োজনীয় প্রশ্নগুলো নির্ভর করে প্রাসঙ্গিক প্রেক্ষাপটের উপর। তাই বিভিন্ন লেখক যেসব উদাহরণ দেন, তা একে অপরের থেকে যথেষ্ট আলাদা। তবু কিছু সাধারণ নির্দেশনা অনুসরণ করা যায় <ref>Micarelli, A., Stamper, J., & Panourgia, K. (2016). Intelligent Tutoring Systems: 13th International Conference, ITS 2016, Zagreb, Croatia, June 7-10, 2016. Proceedings. Springer.</ref>:
# পরিস্থিতি, বিষয়বস্তু, মতামত এবং সিদ্ধান্ত চিহ্নিত করতে ও বুঝতে প্রশ্ন ব্যবহার করা
# অনুমান, অস্পষ্টতা, দ্বন্দ্ব, বা বিভ্রান্তি খুঁজে বের করতে প্রশ্ন করা
# ধারণাগুলোর প্রভাব মূল্যায়নে প্রশ্ন ব্যবহার করা
সক্রেটীয় পদ্ধতির প্রথম অংশ হলো তথ্য সংগ্রহ। এখানে প্রশ্ন করে গুরুত্বপূর্ণ বিশদ জানা যায়, ধারণা স্পষ্ট হয়, এবং উদ্দেশ্য নির্ধারণ করা যায়। দ্বিতীয় অংশে প্রথম অংশের তথ্য ব্যবহার করে ধারণার যথার্থতা যাচাইয়ের জন্য গভীর বিশ্লেষণ করা হয়। তৃতীয় অংশে প্রশ্নের মাধ্যমে ধারণাগুলোর ফলাফল নিয়ে চিন্তা করা হয়।
কনকলিন (২০১২) এই তিন অংশকে ছয় ভাগে ভাগ করেছেন <ref name=":8">Conklin, W., & Teacher Created Materials. (2012). Strategies for Developing Higher-Order Thinking Skills, Grades 6 - 12. Shell Education.</ref>:
# বোঝার জন্য প্রশ্ন করা
# অনুমান নির্ধারণের জন্য প্রশ্ন করা
# কারণ / প্রমাণ খুঁজে বের করার জন্য প্রশ্ন করা
# দৃষ্টিভঙ্গি নির্ধারণের জন্য প্রশ্ন করা
# ফলাফল নির্ধারণে প্রশ্ন করা
# প্রদত্ত প্রশ্নটির মূল্যায়নে প্রশ্ন করা
প্রতিটি অংশের জন্য কিছু নমুনা প্রশ্ন এখানে দেওয়া হলো:<ref><nowiki>http://www.janinesmusicroom.com/socratic-questioning-part-i-the-framework.html</nowiki></ref>
বোঝার জন্য প্রশ্নসমূহ:
* আপনি তা কেন ভাবছেন?
* আপনি এই বিষয়ে এতদূর কী পড়েছেন?
* এটি আপনি এখন যা পড়ছেন তার সাথে কীভাবে সম্পর্কিত?
ধারণা নির্ধারণকারী প্রশ্নসমূহ:
* আপনি কীভাবে এই ধারণাটি যাচাই করতে পারেন?
* আর কী ধরা যেতে পারে?
* এ বিষয়ে আপনার মত কী? আপনি কি একমত, না কি অসম্মত?
কারণ / প্রমাণ আবিষ্কারের প্রশ্নসমূহ:
* আপনি কীভাবে নিশ্চিত হতে পারেন?
* এটা কেন ঘটছে?
* আপনার মতকে সমর্থন করার জন্য আপনার কাছে কী প্রমাণ আছে?
দৃষ্টিভঙ্গি নির্ধারণকারী প্রশ্নসমূহ:
* আপনি এই যুক্তিটিকে আরেকভাবে কীভাবে দেখতে পারেন?
* কোন দৃষ্টিভঙ্গিটি ভালো?
পরিণতি নির্ধারণকারী প্রশ্নসমূহ:
* এটি আপনার উপর কী প্রভাব ফেলে?
* এর কী প্রভাব রয়েছে?
কোন প্রশ্ন মূল্যায়নের জন্য প্রশ্নসমূহ:
* আমাকে এই প্রশ্নটি কেন জিজ্ঞাসা করা হয়েছে?
* কোন প্রশ্নগুলো সবচেয়ে আকর্ষণীয় উত্তর দিয়েছে?
* আর কী প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা উচিত?
লেখার ওপর নির্ভর করে, সক্রেটিক পদ্ধতি অত্যন্ত জটিল হতে পারে। এটি শিক্ষকদের জন্য এটি প্রয়োগ করাকে চ্যালেঞ্জিং করে তোলে। কনক্লিন (২০১২) বলেন, একজন শিক্ষককে এই ধরনের প্রশ্ন আগেই পরিকল্পনা করতে হবে, পাঠ চলাকালীন তাৎক্ষণিকভাবে তৈরি করার উপর নির্ভর না করে <ref name=":82" />।
[[চিত্র:Blooms_rose.svg|alt= Bloom's Taxonomy|থাম্ব|Bloom's Taxonomy]]
==== ব্লুম’স ট্যাক্সোনমি ====
ব্লুম’স ট্যাক্সোনমি প্রথম তৈরি হয় ১৯৫৬ সালে, শিক্ষার্থীদের উচ্চস্তরের চিন্তাভাবনা মূল্যায়নের জন্য এবং জ্ঞানমূলক শিক্ষাগত লক্ষ্য নির্ধারণের উদ্দেশ্যে <ref>Bloom, B. S., Krathwohl, D. R., & Masia, B. B. (1984). Taxonomy of educational objectives: the classification of educational goals. Longman.</ref>। পরবর্তীতে এটি রূপান্তরিত হয়ে সমালোচনামূলক চিন্তনের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য একটি কার্যকরী সরঞ্জাম হয়ে ওঠে, বিশেষ করে সমালোচনামূলক প্রশ্নের মাধ্যমে <ref>Blosser, P. E. (1991). How to Ask the Right Questions. NSTA Press.</ref>। এই সমালোচনামূলক প্রশ্নগুলো ব্লুম’স শ্রেণিবিন্যাসের বোঝা, প্রয়োগ, বিশ্লেষণ, সংকলন এবং মূল্যায়ন পর্যায়ের সাথে সম্পর্কিত। এই শ্রেণিগুলো সক্রেটিক পদ্ধতির সাথে মিল খুঁজে পাওয়া যায়, যেমন বোঝা, বিশ্লেষণ এবং মূল্যায়নের জন্য প্রশ্ন করার গুরুত্ব। মুন (২০০৭) মনে করেন, “মূল্যায়ন”, “প্রতিফলন” এবং “বোঝা” সমালোচনামূলক চিন্তনের মূল উপাদান <ref name=":03" />। এটি সমালোচনামূলক চিন্তার ধারণায় অবশ্যই অন্তর্ভুক্ত হওয়া উচিত। একই সময়ে, ব্লুম’স ট্যাক্সোনমি একটি স্বাভাবিক প্রশ্নমালা তৈরি করে যা বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে মানিয়ে নেওয়া যায় <ref>Wang, J.-F., & Lau, R. (2013). Advances in Web-Based Learning -- ICWL 2013: 12th International Conference, Kenting, Taiwan, October 6-9, 2013, Proceedings. Springer.</ref>।
একটি উদাহরণ হিসেবে, একজন শিক্ষক নিউইয়র্কের একটি স্পিকইজি বারের ছবি ব্যবহার করেন। ব্লুম’স ট্যাক্সোনমি ব্যবহার করে শিক্ষক নিম্নলিখিত সমালোচনামূলক প্রশ্নগুলো করতে পারেন এবং তার মডেল দিতে পারেন <ref name=":34" />:
# জ্ঞান: আপনি ছবিতে কী দেখছেন?
# অনুধাবন: এই ধরনের জায়গায় মানুষ কী করে?
# বিশ্লেষণ: ছবিতে এত পুলিশ কেন আছে?
# প্রয়োগ: বর্তমানে আমরা এ ধরনের কোন পরিস্থিতি দেখতে পাই?
# সংকলন: যদি এমন আচরণ নিষিদ্ধকারী কোনো আইন না থাকতো?
# মূল্যায়ন: আপনি যদি এই লোকগুলোর একজন হতেন, তাহলে কেমন অনুভব করতেন? কেন?
[[চিত্র:Depth_of_Knowledge.png|alt=Norman Webb's Depth of Knowledge|থাম্ব|Norman Webb's Depth of Knowledge]]
==== নরম্যান ওয়েবের জ্ঞানের গভীরতা (ডিওকে) ====
ওয়েবের জ্ঞানের গভীরতা (ডিওকে) ট্যাক্সোনমি তৈরি হয় ২০০২ সালে ব্লুম’স ট্যাক্সোনমির প্রতিক্রিয়া হিসেবে <ref name=":9">Gregory, G., & Kaufeldt, M. (2015). The Motivated Brain: Improving Student Attention, Engagement, and Perseverance. ASCD.</ref>। ব্লুম’স ট্যাক্সোনমির সাথে এর বিপরীতে, ওয়েবের ডিওকে চিন্তাভাবনাকে মূল্যায়ন করে তার জটিলতার দিক থেকে, কেবলমাত্র কষ্টসাধ্যতার ভিত্তিতে নয় <ref name=":9" />।
ওয়েবের ডিওকের চারটি স্তর:
# স্মরণ ও পুনরুৎপাদন
# দক্ষতা ও ধারণার সাথে কাজ করা
# স্বল্পমেয়াদী কৌশলগত চিন্তাভাবনা
# বিস্তৃত কৌশলগত চিন্তাভাবনা
স্তর ১ ব্লুম’স ট্যাক্সোনমির তথ্য মনে রাখা এবং পুনরায় স্মরণ করার স্তরের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ। এই স্তরের সমালোচনামূলক প্রশ্ন হতে পারে:
* মূল চরিত্রের নাম কী?
* অলিভার টুইস্ট ফ্যাজিনকে কী জিজ্ঞাসা করেছিল?
স্তর ২-এ বিভিন্ন দক্ষতা অন্তর্ভুক্ত যেমন শ্রেণিবিন্যাস, তুলনা, পূর্বাভাস, তথ্য সংগ্রহ ও উপস্থাপন। এসব দক্ষতা থেকে নিচের প্রশ্নগুলো আসতে পারে:
* এই দুটি ধারণার মধ্যে কী মিল-অমিল?
* আপনি কীভাবে এই বস্তুগুলো শ্রেণিবিন্যাস করবেন?
* আপনি কীভাবে এই পাঠের সারাংশ তৈরি করবেন?
স্তর ৩ বিশ্লেষণ ও মূল্যায়নের সাথে সম্পর্কিত। এটি আবার ব্লুম’স ট্যাক্সোনমির সাথে মিলে যায়।
* আপনি কী সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেন?
* এটি ব্যাখ্যা করতে আপনি কী তত্ত্ব দাঁড় করাতে পারেন?
* সবচেয়ে ভালো উত্তর কোনটি? কেন?
একই সময়ে, ডিওকের স্তর ৩ সক্রেটিক পদ্ধতির সাথে মিল খুঁজে পায় কারণ এখানে ব্যক্তিকে নিজের মত পক্ষে যুক্তি ও প্রমাণ দিয়ে কথা বলতে হয়।
স্তর ৪ হলো সবচেয়ে জটিল এবং চ্যালেঞ্জিং। এটি আন্তঃবিষয়ক সংযোগ তৈরি করা এবং নতুন ধারণা / সমাধান তৈরি করার উপর জোর দেয়।
যেহেতু ডিওকে প্রতিটি স্তরে আরও জটিল হয়ে ওঠে এবং যুক্তি ও প্রমাণ ব্যবহার করে নিজ অবস্থান সমর্থনের প্রয়োজন পড়ে, এটি সক্রেটিক পদ্ধতির সাথে সাদৃশ্য তৈরি করে। একই সাথে, যেহেতু এটি সমালোচনামূলক চিন্তা মূল্যায়নের মান নির্ধারণে ব্যবহৃত হয়, এটি ব্লুম’স ট্যাক্সোনমির সাথে সাদৃশ্যযুক্ত।
==== উইলিয়ামস মডেল ====
[[চিত্র:KWL_Chart.jpg|alt= The KWL method shares some similarities to the 'wonder' aspect of the Williams Model|থাম্ব|কেডব্লিউএল পদ্ধতিটি উইলিয়ামস মডেলের 'বিস্ময়কর' দিকের সাথে কিছু মিল ভাগ করে নেয়।]]
উইলিয়ামস মডেলটি ফ্র্যাঙ্ক উইলিয়ামস ১৯৭০-এর দশকে তৈরি করেন <ref name=":82" />। অন্যান্য পদ্ধতির এর বিপরীতে, উইলিয়ামস মডেল তৈরি করা হয়েছিল সৃজনশীল চিন্তাভাবনা উৎসাহিত করার জন্য সমালোচনামূলক প্রশ্ন ব্যবহার করে <ref name=":82" />। এই মডেল নিম্নলিখিত উপাদানগুলো নিয়ে গঠিত:
* সাবলীলতা
* নমনীয়তা
* বিস্তারিততা
* মৌলিকতা
* কৌতূহল
* ঝুঁকি নেওয়া
* জটিলতা
* কল্পনাশক্তি
সাবলীলতা সংক্রান্ত সমালোচনামূলক প্রশ্নগুলো এক ধরনের ব্রেইনস্টর্মিং এর মতো। এখানে প্রশ্নগুলো ধারণা ও বিকল্প উত্পন্ন করার জন্য তৈরি করা হয় <ref name=":82" />। ‘নমনীয়তা’র প্রশ্ন বিদ্যমান ধারণার বিভিন্ন রূপ উত্পন্ন করে। ‘বিস্তার’ প্রশ্ন বিদ্যমান ধারণার উপর নির্মাণ করে এবং বিস্তারিততা বাড়ায়। ‘মৌলিকতা’ প্রশ্ন নতুন ধারণা তৈরির দিকে পরিচালিত করে। কৌতূহল সম্পর্কিত অংশ KWL পদ্ধতির ‘Wonder’ ধাপের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ <ref>Carol, K., & Sandi, Z. (2014). Q Tasks, 2nd Edition: How to empower students to ask questions and care about answers. Pembroke Publishers Limited.</ref>। ‘ঝুঁকি নেওয়া’ প্রশ্ন পরীক্ষামূলক চিন্তা উসকে দেয়। যদিও ‘জটিলতা’ শব্দটি ‘বিস্তার’-এর মতো শোনায়, এটি বিশৃঙ্খলার মধ্যে থেকে ক্রম বের করা, সংযোগ তৈরি করা, এবং তথ্যের ঘাটতি পূরণের বিষয়ে। সর্বশেষ উপাদান হলো ‘কল্পনা’। এটি প্রশ্ন ব্যবহার করে কল্পনাশক্তির মাধ্যমে ভাবতে সহায়তা করে।
[[চিত্র:Wiggins_&_McTighe’s_Six_Facets_of_Understanding_.png|alt=Wiggins & McTighe’s Six Facets of Understanding|থাম্ব|উইগিন্স এবং ম্যাকটাইগের বোঝাপড়ার ছয়টি দিক]]
==== উইগিন্স ও ম্যাকটাই-এর ছয়টি অনুধাবন দিক ====
উইগিন্স ও ম্যাকটাই-এর ‘ছয়টি অনুধাবনের দিক’ সমালোচনামূলক চিন্তার গভীর অনুধাবনের উপর ভিত্তি করে তৈরি <ref name=":10">Doubet, K. J., & Hockett, J. A. (2015). Differentiation in Middle and High School: Strategies to Engage All Learners. ASCD.</ref>। এই পদ্ধতি শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের জন্য প্রশ্ন তৈরি করতে ব্যবহার করেন। এটি সমালোচনামূলক চিন্তনকে উৎসাহ দেয় <ref name=":10" />। এই ছয়টি দিক হলো: ব্যাখ্যা, ব্যাখ্যাত্মকতা, প্রয়োগ, দৃষ্টিভঙ্গি, সহানুভূতি এবং আত্ম-জ্ঞান <ref name=":11"><nowiki>http://www.educ.kent.edu/fundedprojects/tspt/units/sixfacets.htm</nowiki></ref>।
‘ব্যাখ্যা’ দিকটিতে ‘কেন’ এবং ‘কীভাবে’ প্রশ্নগুলো আধিপত্য করে। এটি তত্ত্ব এবং যুক্তি তৈরি করতে সহায়ক <ref name=":12">McTighe, J., & Wiggins, G. (2013). Essential Questions: Opening Doors to Student Understanding (1st ed.). Alexandria, Va. USA: Association for Supervision & Curriculum Development.</ref>:
* এটা কীভাবে ঘটল? আপনি কেন তাই মনে করেন?
* এটি অন্য তত্ত্বের সাথে কীভাবে সংযুক্ত?
ব্যাখ্যাত্মক প্রশ্নগুলো ‘পাঠের ভিতরে’ পড়া, উপমা বা রূপক তৈরি করা এবং ধারণাকে ব্যাখ্যা করার জন্য লিখিত বা চিত্রিত পরিস্থিতি তৈরি করতে সাহায্য করে। উদাহরণস্বরূপ:
* আপনি কীভাবে এই ধারণাটি অন্যভাবে ব্যাখ্যা করবেন?
* আপনি কেন মনে করেন, উভয় পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব আছে?
* এটি জানা কেন গুরুত্বপূর্ণ?
প্রয়োগ সম্পর্কিত প্রশ্নগুলো জ্ঞান প্রয়োগ করার বিষয়ে। এর একটি অংশ পূর্বানুমান নির্ভর করে পূর্ব অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে এবং আরেকটি অংশ অতীত থেকে শেখার বিষয়।
* আমরা কীভাবে এটি আবার ঘটতে দেওয়া থেকে বিরত থাকতে পারি?
* আপনি কী মনে করেন, পরবর্তীতে কী হবে?
* এটি কীভাবে কাজ করে?
দৃষ্টিভঙ্গি প্রশ্নগুলো অন্যের দৃষ্টিভঙ্গি বোঝা এবং তাদের দৃষ্টিভঙ্গির বিশ্লেষণ ও সমালোচনার দিকে মনোনিবেশ করে <ref name=":11" />। উদাহরণস্বরূপ:
* এই বিষয়ে বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি কী কী?
* কবিতায় কে কথা বলছে?
* কার দৃষ্টিভঙ্গি এখানে প্রকাশিত হয়েছে?
* অন্য একজনের দৃষ্টিতে এটি কীভাবে দেখাত?
সহানুভূতিমূলক প্রশ্নগুলো অন্যের অবস্থান অনুধাবনের মাধ্যমে মনের উন্মুক্ততা তৈরি করে, যেন অন্যের জায়গায় নিজেকে কল্পনা করা যায়।
* আপনি যদি একই অবস্থায় থাকতেন, তাহলে কেমন অনুভব করতেন?
* ঐ পরিস্থিতিতে বাস করলে কেমন হতো?
* কেউ যদি আপনার পরিবারের সাথে এটা করত, আপনি কীভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাতেন?
আত্ম-জ্ঞানভিত্তিক প্রশ্নগুলো আত্ম-অনুধাবনের দিকে পরিচালিত করে এবং নিজের পক্ষপাত, মূল্যবোধ এবং পূর্বাগ্রহগুলো চিনতে সাহায্য করে যা অন্যদের বিচার করার সময় প্রভাব ফেলে <ref name=":11" />। উদাহরণস্বরূপ:
* আমার জীবন এই বিষয়ে আমার দৃষ্টিভঙ্গিকে কীভাবে গঠন করেছে?
* আমি আসলে ঐ সম্প্রদায়ের মানুষের জীবনের সম্পর্কে কী জানি?
* আমি কী জ্ঞান বা অভিজ্ঞতার ঘাটতি অনুভব করি?
* আমি যেটা জানি, তা কোথা থেকে এল? সেই তথ্য বা ধারণার উৎস কী?
‘ছয়টি অনুধাবন দিক’-এর মধ্যে থাকা সমস্ত প্রশ্নের বৈশিষ্ট্য নিম্নরূপ <ref name=":12" />:
# সেগুলো উন্মুক্ত
# গভীর চিন্তার প্রয়োজন
# সমালোচনামূলক চিন্তন জরুরি
# জ্ঞান হস্তান্তরকে উৎসাহ দেয়
# এগুলো অনুস্মারক প্রশ্ন তৈরি করে
# এর উত্তর প্রমাণ সহ প্রতিষ্ঠিত হতে হয়
একটি শ্রেণিকক্ষ পরিবেশে সমালোচনামূলক প্রশ্ন প্রয়োগের উদাহরণ দেখতে চাইলে, এই পাতার নিচের বহিঃসংযোগ অংশে দেখুন।
= সমস্যা সমাধান =
প্রতিদিনের জীবনে আমরা নানা সমস্যায় ঘেরা থাকি, যেগুলোর সমাধান আমাদের লক্ষ্য পূরণে গুরুত্বপূর্ণ এবং আমাদের মনোযোগ দাবি করে <ref name=":20">Bruning, G.J. Schraw & M.M. Norby (2011) Cognitive Psychology and Instruction (5th Ed). New York: Pearson.</ref>। আমরা এমন সমস্যার মুখোমুখি হতে পারি যেমন: কর্মস্থলে পৌঁছানোর জন্য সেরা রুট নির্ধারণ করা, ইন্টারভিউয়ের জন্য কী পরা উচিত, একটি যুক্তিভিত্তিক প্রবন্ধে ভালো করা, অথবা একটি দ্বিঘাত সমীকরণের সমাধান খুঁজে বের করা। একটি পরিস্থিতিকে সমস্যা হিসেবে বিবেচনা করা হয় যখন সেই সমস্যার সমাধান চাওয়া হয়, কিন্তু সমাধানটি সমাধানকারী ব্যক্তির কাছে স্পষ্ট নয় <ref>Anderson, J. R. Cognitive Psychology and Its Implications. New York: Freeman, 1980</ref>। '''<u>সমস্যা সমাধান</u>''' হচ্ছে এই সমস্যাগুলোর সমাধান খুঁজে বের করার প্রক্রিয়া <ref name=":21">Mayer, R. E., & Wittrock, R. C. (2006). Problem solving. In P. A. Alexander & P. H. Winne (Eds.), Handbook of educational psychology (2nd ed., pp. 287–304). Mahwah, NJ: Erlbaum.</ref>। '''''যদিও এরা সম্পর্কিত, সমালোচনামূলক চিন্তন মূলত সমস্যা সমাধানের চেয়ে আলাদা। সমালোচনামূলক চিন্তা একটি প্রক্রিয়া যা সমস্যা সমাধানে প্রয়োগ করা যেতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, শিক্ষার্থীরা এমন অনির্দিষ্ট সমস্যার মুখোমুখি হলে সমালোচনামূলক চিন্তায় জড়িয়ে পড়তে পারে যেখানে অনেক বিকল্প বা সম্ভাব্য উত্তর বিবেচনা করতে হয়। মূলত। এরা সমালোচনামূলকভাবে চিন্তা করতে সক্ষম, তারা কার্যকরভাবে সমস্যা সমাধান করতে সক্ষম <ref>Snyder, M. J., & Snyder, L. G. (2008). Teaching critical thinking and Problem solving skills. Delta Pi Epsilon Journal, L(2), 90-99.</ref>।'''''
[[চিত্র:T_vs_PBL.png|থাম্ব|সমস্যাভিত্তিক শেখা ঐতিহ্যবাহী ধারার চেয়ে আলাদা। কারণ এটি শিক্ষার্থীদের একটি প্রশ্নের সমাধানের দিকে মনোনিবেশ করতে সহায়তা করে।]]
এই অধ্যায়ে প্রথমে ''[[চিন্তন ও নির্দেশনা/সমস্যা সমাধান, সমালোচনামূলক চিন্তন ও যুক্তি#glos Well-defined Problems|সুস্পষ্ট সমস্যা]]'' এবং ''[[চিন্তন ও নির্দেশনা/সমস্যা সমাধান, সমালোচনামূলক চিন্তন ও যুক্তি#glos Ill-defined Problems|অনির্দিষ্ট সমস্যা]]'' এর মধ্যে পার্থক্য করা হবে, এরপর সমস্যাগুলোর ধারণা তৈরি ও চিত্রায়নের ব্যবহার আলোচনা করা হবে এবং শেষে মানসিক স্থবিরতা কীভাবে সফল সমস্যা সমাধানে বাধা হতে পারে তা ব্যাখ্যা করা হবে।
=== সুস্পষ্ট ও অনির্দিষ্ট সমস্যা ===
সমস্যাগুলোকে সাধারণত দুটি ধরনের মধ্যে ভাগ করা যায়: অনির্দিষ্ট অথবা সুস্পষ্ট <ref name=":20" />। একটি সুস্পষ্ট সমস্যার উদাহরণ হতে পারে একটি বীজগাণিতিক সমস্যা (যেমন: ২x - ২৯ = ৭)। এখানে x-এর মান বের করতে হবে। আরেকটি উদাহরণ হতে পারে একটি টার্কির ওজন কিলোগ্রাম থেকে পাউন্ডে রূপান্তর করা। উভয় ক্ষেত্রেই এটি সুস্পষ্ট সমস্যা হিসেবে বিবেচিত হয় কারণ এখানে একটি নির্দিষ্ট সমাধান রয়েছে এবং সেই সমাধান খুঁজে পাওয়ার একটি স্পষ্ট পদ্ধতি রয়েছে।
এর বিপরীতে, অনির্দিষ্ট সমস্যা হলো এমন সব সমস্যা যেগুলো আমরা দৈনন্দিন জীবনে মোকাবিলা করি। এখানে লক্ষ্য অস্পষ্ট এবং তথ্যগুলো সাংঘর্ষিক, অসম্পূর্ণ বা অনির্ণীত থাকে <ref name=":22">Voss, J. F. (1988). Problem solving and reasoning in ill-structured domains. In C. Antaki (Ed.), Analyzing everyday explanation: A casebook of methods (pp. 74-93). London: SAGE Publications.</ref>। অনির্দিষ্ট সমস্যার একটি উদাহরণ হতে পারে “জলবায়ু পরিবর্তনের সমাধান কীভাবে করা যায়?” অথবা “দারিদ্র্য নিরসনের উপায় কী হওয়া উচিত?” কারণ এই প্রশ্নগুলোর একক কোনো সঠিক উত্তর নেই। এই সমস্যাগুলোর বিভিন্ন সমাধানের সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ এই সমস্যাগুলোর জন্য কোনো সর্বজনগ্রাহ্য কৌশল নেই। মানুষ এসব সমস্যার সমাধান ভিন্নভাবে করে থাকে, তাদের ধারণা, তত্ত্ব প্রয়োগ বা মূল্যবোধ অনুসারে<ref name=":31">Pretz, J. E., Naples, A. J., & Sternberg, R. J. (2003). Recognizing, defining, and representing problems. In J. E. Davidson and R. J. Sternberg (Eds.), The psychology of problem solving (pp. 3–30). Cambridge, UK: Cam- bridge University Press.</ref>। তদুপরি, প্রতিটি সমাধানের নিজস্ব শক্তি ও দুর্বলতা রয়েছে <ref name=":31" />।
{| border="1"
|+'''অনির্দিষ্ট বনাম সুস্পষ্ট সমস্যা'''
!অনির্দিষ্ট
!সুস্পষ্ট
|-
|বর্তমান অবস্থা স্পষ্ট নয়, লক্ষ্য অস্পষ্ট, অনুমোদিত পদ্ধতির সীমা অনির্দিষ্ট এবং একাধিক সমাধান থাকতে পারে <ref name=":22" />।
|বর্তমান অবস্থা স্পষ্ট, লক্ষ্য স্পষ্টভাবে নির্ধারিত, অনুমোদিত পদ্ধতি নির্দিষ্ট এবং একটি নির্দিষ্ট সমাধান রয়েছে <ref name=":22" />।
|-
|উদাহরণ: আমরা কীভাবে বৈশ্বিক উষ্ণায়নের সমাধান করব?
|উদাহরণ: ৫x = ১০
|-
|''[[চিন্তন ও নির্দেশনা/সমস্যা সমাধান, সমালোচনামূলক চিন্তন ও যুক্তি#glos Argumentation|যুক্তিতর্ক]]'', মনোভাব ও "মেটাকগনিশন" উচ্চ সমস্যা সমাধান স্কোরের পূর্বাভাস দেয় <ref name=":322">Shin, N., Jonassen, D. H., & McGee, S. (2003). Predictors of Well-Structured and Ill-Structured Problem Solving in an Astronomy Simulation. Journal Of Research In Science Teaching, 40(1), 6-33.8</ref>
|বিষয়ভিত্তিক জ্ঞান ও যৌক্তিকতা দক্ষতা সমস্যা সমাধানের স্কোরে প্রভাব ফেলে <ref name=":322" />।
|}
সারণি ১: সুস্পষ্ট এবং অনির্দিষ্ট সমস্যার পার্থক্য সংক্ষেপে উপস্থাপন করে।
==== অনির্দিষ্ট এবং সুস্পষ্ট সমস্যার সমাধানে পার্থক্য ====
প্রাথমিক পর্যায়ে, গবেষকরা মনে করতেন যে উভয় ধরনের সমস্যা একইভাবে সমাধান করা যায় <ref>Simon, D. P. (1978). Information processing theory of human problem solving. In W. K. Estes (Ed.), Handbook of learning and cognitive process. Hillsdale, NJ: Lawrence Erlbau</ref>, তবে আধুনিক গবেষণাগুলো এই সমাধান প্রক্রিয়ায় কিছু উল্লেখযোগ্য পার্থক্য তুলে ধরেছে।
কিচেনার (১৯৮৩) প্রস্তাব করেন, সুস্পষ্ট সমস্যাগুলোতে '''[[চিন্তন ও নির্দেশনা/সমস্যা সমাধান, সমালোচনামূলক চিন্তন ও যুক্তি#glos Epistemological Beliefs|জ্ঞানতাত্ত্বিক বিশ্বাস]]''' সংক্রান্ত কোনো অনুমান থাকে না <ref name=":20" />। কারণ এদের একটি স্পষ্ট এবং নির্দিষ্ট সমাধান থাকে। এখানে অনির্দিষ্ট সমস্যাগুলোর জন্য এই ধরনের বিশ্বাস প্রয়োজন হয় কারণ তাদের একটি স্পষ্ট এবং নির্দিষ্ট সমাধান নেই <ref>Kitchener, K.S., Cognition, metacognition, and epistemic cognition. Human Development, 1983. 26: p. 222-232.</ref>। এই ধারণার সমর্থনে, শ্র, ডাঙ্কল এবং বেন্ডিক্সেন ২০০ অংশগ্রহণকারীর উপর একটি গবেষণা করেন। এখানে তারা দেখতে পান সুস্পষ্ট সমস্যায় পারফর্ম করার দক্ষতা অনির্দিষ্ট সমস্যায় দক্ষতা প্রদর্শনের পূর্বাভাস নয়। কারণ অনির্দিষ্ট সমস্যা জ্ঞানের বিষয়ে ভিন্ন বিশ্বাস সক্রিয় করে <ref>Schraw G., Dunkle, M. E., & Bendixen L. D. (1995). Cognitive processes in well-structured and ill-structured problem solving. Applied Cognitive Psychology, 9, 523–538.</ref>।
শিন, জোনাসেন এবং ম্যাকগি (২০০৩) <ref name=":322" /> আরও দেখেছেন যে অনির্দিষ্ট সমস্যা সমাধানে এমন কিছু দক্ষতা কাজে লাগে যা সুস্পষ্ট সমস্যার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয় না। সুস্পষ্ট সমস্যায় বিষয়ভিত্তিক জ্ঞান এবং যৌক্তিকতা সমস্যা সমাধান স্কোরকে প্রভাবিত করে। এখানে অনির্দিষ্ট সমস্যায় যুক্তিতর্ক, মনোভাব এবং '''<u>মেটাকগনিশন</u>''' বেশি প্রভাব ফেলে।
এই অনুসন্ধানের সাথে সঙ্গতি রেখে, চো এবং জোনাসেন (২০০২) <ref>Cho, K. L., & Jonassen, D. H. (2002) The effects of argumentation scaffolds on argumentation and problem solving. Educational Technology: Research & Development, 50(3), 5-22.</ref> দেখিয়েছেন যে অনির্দিষ্ট সমস্যা সমাধানের জন্য দলগুলো আরও বেশি যুক্তিতর্ক ও সমস্যা সমাধানের কৌশল তৈরি করে কারণ তাদেরকে বিভিন্ন সমাধান ও দৃষ্টিভঙ্গি বিবেচনায় নিতে হয়। এর বিপরীতে, একই যুক্তিতর্ক পদ্ধতি সুস্পষ্ট সমস্যার ক্ষেত্রে অংশগ্রহণকারীদের কার্যক্রমে বিঘ্ন ঘটায়। এই গবেষণা দুটি ধরনের সমস্যার সমাধান প্রক্রিয়ায় মৌলিক পার্থক্য নির্দেশ করে।
===== শ্রেণিকক্ষ পরিবেশের প্রভাব =====
সুস্পষ্ট এবং অনির্দিষ্ট সমস্যার মৌলিক পার্থক্য নির্দেশ করে অনির্দিষ্ট সমস্যা সমাধানের জন্য ভিন্ন ধরনের দক্ষতা, কৌশল ও পন্থা দরকার <ref name=":322" />। অথচ অধিকাংশ শিক্ষাগত কার্যক্রম সুস্পষ্ট সমস্যার সমাধানে শিক্ষার্থীদের যুক্ত করে, যেমন পাঠ্যপুস্তকের শেষে থাকা সমস্যা বা মানসম্পন্ন পরীক্ষাগুলোর প্রশ্ন <ref name=":23">Jonassen, D. H. (2000). Revisiting activity theory as a framework for designing student-centered learning environments. In D. H. Jonassen, S. M. Land, D. H. Jonassen, S. M. Land (Eds.) , Theoretical foundations of learning environments (pp. 89-121). Mahwah, NJ, US: Lawrence Erlbaum Associates Publishers.</ref>। দুর্ভাগ্যজনকভাবে, সুস্পষ্ট সমস্যার জন্য ব্যবহৃত কৌশল বাস্তব জীবনের অনির্দিষ্ট সমস্যার ক্ষেত্রে তেমন কার্যকর নয় <ref>Spiro, R. J., Feltovich, P. J., Jacobson, M. J., & Coulson, R. L. (1992). Cognitive flexibility, constructivism, and hypertext: Random access instruction for advanced knowledge acquisition in ill-structured domains. In T. M. Duffy, D. H. Jonassen, T. M. Duffy, D. H. Jonassen (Eds.) , Constructivism and the technology of instruction: A conversation (pp. 57-75). Hillsdale, NJ, England: Lawrence Erlbaum Associates, Inc.</ref>। কারণ সুস্পষ্ট সমস্যার জন্য ব্যবহৃত সরলীকৃত কৌশলগুলোর বাস্তব জীবনের সমস্যার সাথে প্রায় কোনো মিল নেই <ref name=":23" />
এটি নির্দেশ করে শ্রেণিকক্ষ এমনভাবে পুনর্গঠন করা উচিত যা শিক্ষার্থীদের অনির্দিষ্ট সমস্যার সমাধানে সহায়তা করে। এর একটি উপায় হতে পারে শিক্ষার্থীদের এমন প্রশ্ন জিজ্ঞেস করা যা বাস্তব জীবনের সমস্যার প্রতিফলন করে <ref name=":24">Barrows, H. S. (1996). “Problem-based learning in medicine and beyond: A brief overview.” In L. Wilkerson & W. H. Gijselaers (Eds.), Bringing ''[[চিন্তন ও নির্দেশনা/সমস্যা সমাধান, সমালোচনামূলক চিন্তন ও যুক্তি#glos Problem-Based Learning|Problem-Based Learning]]'' to higher education: Theory and practice (pp. 3-12). San Francisco: Jossey Bass.</ref>। এই পদ্ধতিকে বলা হয় '''<u>সমস্যাভিত্তিক শিক্ষা</u>''' এবং এই শ্রেণিকক্ষ কাঠামোতে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন উৎস থেকে প্রমাণ, তথ্য ও উপাত্ত সংগ্রহ করে প্রশ্নের সমাধান খুঁজে বের করার সুযোগ পায় <ref name=":25">(Barron, B., & Darling-Hammond, L. (2008). Teaching for meaningful learning: A review of research on inquiry-based and cooperative learning. Powerful Learning: What We Know About Teaching for Understanding (pp. 11-70). San Francisco, CA: Jossey-Bass.)</ref>। এতে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি ও ব্যাখ্যা বিবেচনা করে তথ্য বিশ্লেষণ এবং উপস্থাপন শেখে <ref name=":25" />।
====== শ্রেণিকক্ষের কাঠামো ======
সমস্যাভিত্তিক শিক্ষায়, শিক্ষার্থীরা ছোট ছোট দলে কাজ করে যেখানে তারা তাৎপর্যপূর্ণ সমস্যার অনুসন্ধান করে, সমস্যার সমাধানে প্রয়োজনীয় তথ্য চিহ্নিত করে এবং কার্যকর সমাধানের পদ্ধতি নির্ধারণ করে <ref name=":24" />। শিক্ষার্থীরা এই কৌশলগুলো প্রয়োগ করে, তাদের ফলাফল বিশ্লেষণ করে এবং নতুন কৌশল উদ্ভাবন করে যতক্ষণ না তারা কার্যকর সমাধানে পৌঁছায় <ref name=":24" />। এই শ্রেণিকক্ষ কাঠামোতে শিক্ষক শিক্ষণ প্রক্রিয়াকে পরিচালনা করেন, অংশগ্রহণে উৎসাহ দেন এবং শিক্ষার্থীদের বিশ্লেষণ ও সমালোচনামূলক চিন্তা বাড়াতে প্রশ্ন করেন <ref name=":24" />। এছাড়াও শিক্ষকরা প্রথাগত লেকচার এবং ব্যাখ্যা প্রদান করতে পারেন যা শিক্ষার্থীদের অনুসন্ধান ভিত্তিক শিক্ষায় সহায়তা করে <ref name=":24" />।
সমস্যাভিত্তিক শিক্ষার কার্যকারিতা সমর্থনে ডচি, সেজার্স, ভ্যান ডেন বোশে এবং গিজবেলস (২০০৩) পরিচালিত একটি মেটা-বিশ্লেষণ দেখিয়েছে যে সমস্যাভিত্তিক শিক্ষা ঐতিহ্যবাহী শিক্ষার চেয়ে বেশি কার্যকর, বিশেষত নমনীয় সমস্যা সমাধান, জ্ঞানের প্রয়োগ এবং অনুমান তৈরির ক্ষেত্রে <ref>Dochy, F., Segers, M., Van den Bossche, P., & Gijbels, D. (2003). Effects of problembased learning: A meta-analysis. Learning and Instruction, 13, 533–568.</ref>।
অধিকন্তু, উইলিয়ামস, হেমস্ট্রিট, লিউ এবং স্মিথ (১৯৯৮) করেছিলেন যে এই পদ্ধতি বিজ্ঞানে ধারণাগত বোঝাপড়ায় আরও উন্নতি সাধন করে<ref>Williams, D., Hemstreet, S., Liu, M.& Smith, V. (1998). Examining how middle school students use problem-based learning software. Unpublished paper presented at the ED-Media/ED Telecom ‘98 world Conference on Educational Multimedia and Hypermedia & World Conference on Educational Telecommunications, Freiberg, Germany.</ref>। সর্বশেষে গ্যালাঘের, স্টেপিয়েন, এবং রোজেনথাল (১৯৯২) দেখেছেন, প্রচলিত পদ্ধতি বনাম প্রকল্প-ভিত্তিক পদ্ধতির তুলনায়, সমস্যা-ভিত্তিক শিক্ষায় শিক্ষার্থীরা সমস্যাকে সংজ্ঞায়িত করার দক্ষতা প্রদর্শন করে<ref>Gallagher, S. A., Stepien, W. J., & Rosenthal, H. (1992). The effects of problem based learning on problem solving. Gifted Child Quarterly, 36, 195–200. Gertzman, A., & Kolodner, J. L.</ref>। এই গবেষণাগুলি সমস্যা-ভিত্তিক শিক্ষার সুবিধাগুলি তুলে ধরে যা বিজ্ঞানে সমস্যা বোঝা ও সংজ্ঞায়িত করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। সমস্যা সংজ্ঞায়নের ইতিবাচক প্রভাবের পরিপ্রেক্ষিতে, এই শিক্ষাগত পদ্ধতি পরবর্তী উপ-ভাষ্য 'সমস্যার ধারণাকরণ' বিষয়েও প্রযোজ্য হতে পারে।
=== সমস্যা সমাধানের ধাপ ===
সমস্যা সমাধান সংক্রান্ত গবেষণায় সাধারণভাবে পাঁচটি ধাপ চিহ্নিত করা হয়েছে: (১) সমস্যা শনাক্তকরণ, (২) সমস্যা উপস্থাপন, (৩) উপযুক্ত কৌশল নির্বাচন, (৪) কৌশল বাস্তবায়ন, এবং (৫) সমাধান মূল্যায়ন<ref name=":202" />। এই আলোচনা সমস্যার প্রথম দুটি ধাপে গুরুত্ব দেবে এবং বিশ্লেষণ করবে কীভাবে এই ধাপগুলো সমস্যা সমাধানে প্রভাব ফেলে।
[[চিত্র:PBL_Cycle.png|থাম্ব|সমস্যা সমাধানের পাঁচটি ধাপ একটি চক্র তৈরি করে যা শিক্ষার্থীদের সর্বোত্তম সমাধান চিন্তার ধারাকে পরিশোধিত করতে সাহায্য করে।]]
==== সমস্যার ধারণাকরণ ====
সমস্যা সমাধানের সবচেয়ে ক্লান্তিকর এবং কঠিন দিকগুলোর একটি হলো সমস্যাটি শনাক্ত করা। কারণ এটি করতে হলে সমস্যাটিকে বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে বিবেচনা করতে হয় এবং খুব তাড়াতাড়ি কোনো এক নির্দিষ্ট সমাধানে পৌঁছানোর প্রবণতা থেকে বিরত থাকতে হয়<ref name=":212" />। তদুপরি, এটি স্পষ্টভাবে সমস্যা নির্ধারণে সময় ব্যয় করাও গুরুত্বপূর্ণ। কারণ কোনো নির্দিষ্ট সমস্যা 'ধারণা করতে' ব্যয় করা সময় এবং সমাধানের মানের মধ্যে একটি সম্পর্ক রয়েছে<ref name=":202" />।
উদাহরণস্বরূপ, নিম্নোক্ত সমস্যাটি বিবেচনা করুন:
''বেকা তার ওভেনে পঁচিশ মিনিটে একটি চকলেট কেক বানিয়েছে। তাকে তিনটি চকলেট কেক বানাতে কতক্ষণ সময় লাগবে?''
বেশিরভাগ মানুষ ২৫ গুণ ৩ করে সমাধানে পৌঁছাবে, কিন্তু যদি সব কেক একসাথে ওভেনে বসানো হয়, তাহলে দেখা যাবে তিনটি কেক বানাতেও একই সময় লাগবে যত সময় লাগে একটি কেক বানাতে। এই উদাহরণটি সমস্যাটি সঠিকভাবে ধারণা করার প্রয়োজনীয়তাকে তুলে ধরে এবং সমাধানে তাড়াহুড়ো না করে সমস্যাটি বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে দেখার প্রয়োজনীয়তাও নির্দেশ করে।
এটি আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যেতে, সমস্যাটি ধারণা করতে নিচের পাঁচটি ধাপ বিশ্লেষণ করুন:
'''পর্যায় ১ - সমস্যা সংজ্ঞায়িত করা'''
{| class="wikitable"
!লক্ষ্য (আমি চাই...)
!বাধা (কিন্তু...)
|-
|'''একটি নতুন গাড়ি কিনতে চাই।'''
!আমি জানি না কোন মডেলটি সবচেয়ে সাশ্রয়ী।
|-
|'''আরও ব্যায়াম করতে চাই।'''
!আমি জানি না কখন সময় পাব।
|-
|'''ভালো চাকরি পেতে চাই।'''
!আমি জানি না আমাকে কী ধরণের পুনঃপ্রশিক্ষণ নিতে হবে।
|}
'''পর্যায় ২ - সমাধানের জন্য আইডিয়া তৈরি'''
{| class="wikitable"
!সমস্যা
!তথ্য যাচাই
|-
|'''আমার একটি নতুন গাড়ি কেনা দরকার।'''
|'''এতে কত টাকা লাগবে?'''
'''আমি কি সত্যিই গাড়ি প্রয়োজন নাকি গণপরিবহন ব্যবহার করতে পারি?'''
'''নতুন গাড়ি ভালো নাকি পুরনো কেনা ভালো হবে?'''
|}
'''পর্যায় ৩ - একটি সমাধান নির্বাচন করুন'''
{| class="wikitable"
![[চিত্র:Stage_4.png|ফ্রেমহীন]]
|}
'''পর্যায় ৪ - সমাধান বাস্তবায়ন করুন'''
{| class="wikitable"
![[চিত্র:Step_3_-_Problem_Solving.png|ফ্রেমহীন]]
|}
'''পর্যায় ৫ - ফলাফল পর্যালোচনা করুন'''
{| class="wikitable"
!ফলাফল -
নতুন গাড়ি কেনার সিদ্ধান্ত কি সেরা ছিল?
নতুন গাড়ি কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো, টাকা জমিয়ে তা কেনা হলো, এবং একটি সাশ্রয়ী গাড়ি কেনা হলো।
নতুন গাড়ির দাম বেশি ছিল, কিন্তু এটি নির্ভরযোগ্য এবং দীর্ঘসময় পরিবহন হিসেবে কাজ করছে।
সুতরাং, এটি সেরা সমাধান ছিল।
|}
গবেষণাও এই কথাটিকে সমর্থন করে। পরবর্তী ধাপে যাওয়ার আগে সমস্যাটি স্পষ্টভাবে সংজ্ঞায়িত করা জরুরি। এই যুক্তির পক্ষে, গেটজেল এবং সিক্সজেন্টমিহালি দেখেছেন যে যারা চিত্রশিল্পী শিক্ষার্থী তাদের মধ্যে যারা তাদের শিল্পকর্ম তৈরির সময় বেশি সময় সমস্যা চিহ্নিতকরণে ব্যয় করে, তাদের কাজকে অন্যদের তুলনায় বেশি সৃজনশীল এবং মৌলিক হিসেবে মূল্যায়ন করা হয়েছে<ref name=":202" />। গবেষকরা ধারণা করেছেন, তারা এই প্রাথমিক ধাপে অধিক বিকল্প বিবেচনায় নিয়ে আরও মৌলিক ও গতিশীল সমাধানে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছেন।
এছাড়াও, অভিজ্ঞ শিক্ষক এবং নতুন প্রশিক্ষণরত শিক্ষার্থীদের মধ্যে তুলনা করলে দেখা যায় যে, অভিজ্ঞ শিক্ষকরা কল্পিত শ্রেণীকক্ষে পাঠ পরিকল্পনায় তুলনামূলকভাবে বেশি সময় ব্যয় করেন<ref name=":202" />। উপরন্তু, তারা উভয় ধরণের সমস্যায় (স্পষ্ট ও অস্পষ্টভাবে সংজ্ঞায়িত) উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি সমাধান প্রস্তাব করতে পেরেছেন। ফলে দেখা যায়, সফল সমস্যা সমাধানের সঙ্গে সঠিক সমস্যা নির্ধারণে সময় ব্যয় এবং বহুবিধ সমাধান বিবেচনার সম্পর্ক রয়েছে।
===== শিক্ষণগত প্রভাব =====
গবেষণালব্ধ তথ্য থেকে একটি শিক্ষণগত ধারণা নেওয়া যায় যে, সমস্যা ধারণায় ব্যয় করা সময় এবং সমাধানের মানের মধ্যে সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে, তাই শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের এই পর্যায়ে যতটা সম্ভব সময় ব্যয় করতে উৎসাহিত করা উচিত<ref name=":202" />। এই জ্ঞান প্রদান করে এবং শিক্ষার্থীদের সমস্যা সমাধানের প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করে নিশ্চিত করা যে তারা সমস্যা ধারণায় “থেমে থাকে”, আমরা কার্যকর সমস্যা সমাধানে সহায়তা করতে পারি<ref name=":202" />।
==== সমস্যার উপস্থাপন ====
''[[চিন্তন ও নির্দেশনা/সমস্যা সমাধান, সমালোচনামূলক চিন্তন ও যুক্তি#glos সমস্যার উপস্থাপন|সমস্যার উপস্থাপন]]'' বলতে কোনো নির্দিষ্ট সমস্যার সম্পর্কিত তথ্য কীভাবে সংগঠিত করা হয় তা বোঝানো হয়<ref name=":202" />। বিমূর্ত উপস্থাপনায় আমরা শুধুমাত্র চিন্তা করি বা কথায় বলি, কোনো দৃশ্যমান উপস্থাপন করি না<ref name=":202" />। সমস্যা উপস্থাপনকে দৃশ্যমান করতে গেলে কাগজ, কম্পিউটার ইত্যাদির মাধ্যমে গল্প, প্রতীক, ছবি, সমীকরণ বা গ্রাফের মাধ্যমে উপস্থাপন করতে হয়। এই দৃশ্যমান উপস্থাপনাগুলি<ref name=":202" /> কার্যকর হতে পারে। কারণ সেগুলি সমাধান এবং ধাপগুলি ট্র্যাক রাখতে সাহায্য করে। এটি জটিল সমস্যায় বিশেষভাবে উপকারী।
[[চিত্র:Bud_Monk_2.png|থাম্ব|ডাঙ্কারের বৌদ্ধ সন্ন্যাসী উদাহরণ।]]
উদাহরণস্বরূপ, যদি আমরা ডাঙ্কারের বৌদ্ধ সন্ন্যাসী উদাহরণটি দেখি<ref name=":202" />:
সকালে একজন বৌদ্ধ সন্ন্যাসী সূর্যোদয়ের সময় পাহাড়ে উঠে মন্দিরে যান। তিনি সূর্যাস্তের ঠিক আগে সেখানে পৌঁছান। কয়েকদিন পর, তিনি সূর্যোদয়ের সময় মন্দির থেকে নামা শুরু করেন এবং উপরের চেয়ে দ্রুত গতিতে নামেন। আপনি কি দেখাতে পারেন এমন একটি স্থান। এখানে তিনি উভয় যাত্রার সময় একই সময়ে পার হয়েছেন?<ref name=":202" />
শুধু বিমূর্ত উপস্থাপন ব্যবহার করলে এই সমস্যাটি সমাধান করা অসম্ভব মনে হয়। কারণ এতে অনেক তথ্য আছে, তা মৌখিকভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে এবং প্রশ্নে অপ্রাসঙ্গিক তথ্যও রয়েছে। দৃশ্যমান উপস্থাপন ব্যবহার করলে আমরা একটি মানসিক চিত্র তৈরি করতে পারি। এখানে দুইটি যাত্রাপথ ছেদ করে এবং সেখানে পৌঁছে একটি কার্যকর সমাধানে আসা সহজ হয়<ref>Bruning, G.J. Schraw & M.M. Norby (2011) Cognitive Psychology and Instruction (5th Ed). New York: Pearson.</ref>।
গবেষণাও দেখায়, কঠিন সমস্যার ক্ষেত্রে দৃশ্যমান উপস্থাপন উপকারী। মার্টিন এবং শোয়ার্জ<ref>Martin, L., and D. L. Schwartz. 2009. “Prospective Adaptation in the Use of External Representations.” Cognition and Instruction 27 (4): 370–400. doi:10.1080/</ref> দেখেছেন যে কঠিন কাজে এবং যখন মাঝে মাঝে সম্পদ ব্যবহার করা যায়, তখন বহিঃস্থ উপস্থাপন বেশি ব্যবহার করা হয়। যদিও এই উপস্থাপন তৈরি করতে সময় লাগে। এরা এগুলো তৈরি করেন তারা কার্যকরভাবে এবং নির্ভুলভাবে সমস্যার সমাধান করতে সক্ষম হন।
আরেকটি সুবিধা হলো এই দৃশ্য উপস্থাপন আমাদের জ্ঞাতাগত পক্ষপাত কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করে। চেম্বারস এবং রেইসবার্গ কর্তৃক পরিচালিত একটি গবেষণায়<ref>Chambers, D., and D. Reisberg. 1985. “Can Mental Images Be Ambiguous?” Journal of Experimental Psychology: Human A pragmatic perspective on visual representation and creative thinking Perception and Performance 11 (3): 317–328.</ref> অংশগ্রহণকারীদের একটি ছবি দেখে চোখ বন্ধ করে সেটির মানসিক চিত্র তৈরি করতে বলা হয়। পরে যখন তাদের সেই মানসিক চিত্র থেকে বিকল্প ব্যাখ্যা বের করতে বলা হয়, তখন কেউই তা করতে পারেনি। কিন্তু যখন ছবি দৃশ্যমানভাবে উপস্থাপন করা হয়, তখন তারা দ্রুত ছবি ঘুরিয়ে অন্য ব্যাখ্যায় পৌঁছাতে পেরেছে। এটি দেখায়, দৃশ্য উপস্থাপন শিক্ষার্থীদের মানসিক জড়তার বিরুদ্ধে কাজ করতে সাহায্য করতে পারে। এটি পরবর্তী অংশে আলোচনা করা হবে।
===== শিক্ষণগত প্রভাব =====
উপরে দেখা গেছে, বিমূর্ত উপস্থাপনায় নির্ভর করলে আমাদের মস্তিষ্কের সীমিত স্বল্প-মেয়াদি স্মৃতি অতিরিক্তভাবে চাপের মধ্যে পড়ে<ref name=":202" />। অনেক সমস্যা এই সীমা অতিক্রম করে যার ফলে আমরা আমাদের কাজের স্মৃতিতে প্রয়োজনীয় সব তথ্য রাখতে পারি না<ref name=":202" />। ফলে এটি ইঙ্গিত করে, শিক্ষকরা সমস্যাগুলো দৃশ্যমান বা লিখিতভাবে উপস্থাপন করলে জ্ঞাতাগত চাপ কমবে। সর্বশেষে, শিক্ষকদের উচিত শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন বহিঃস্থ উপস্থাপন যেমন চার্ট, গ্রাফ, ছবি ইত্যাদির মাধ্যমে তথ্য উপস্থাপনের উপায় দেখানো যাতে করে তারা কার্যকর সমাধান খুঁজে পেতে পারে।
=== সমস্যা সমাধানের চ্যালেঞ্জ ===
উপরে আলোচনা অনুযায়ী, সমস্যা সমাধানকে সহজতর করতে বিভিন্ন কৌশল রয়েছে, কিন্তু এমন কিছু বিষয়ও রয়েছে যা এই প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ: কারও পূর্বের অভিজ্ঞতা অনেক সময় নতুন সমাধান, পন্থা বা ধারণা ভাবতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারে<ref name=":26">Öllinger, M., Jones, G., & Knoblich, G. (2008). Investigating the effect of mental set on insight problem solving. Experimental Psychology, 55(4), 269-282. doi:10.1027/1618-3169.55.4.269</ref>।
==== মনোভাব ====
একটি মনোভাব বলতে বোঝায় কোনো কাজের প্রতি আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি যা অতীত অভিজ্ঞতার দ্বারা প্রভাবিত হয়ে গঠিত হয়।<ref name=":262" /> "Mental set" বলতে বোঝায় অতীতের সফল সমাধানগুলোকেই আমরা বারবার ব্যবহার করতে চাই, পরিবর্তে নতুন কোনো বিকল্প উপায় খুঁজে বের না করা। কিছু কিছু পরিস্থিতিতে এই ধরণের মানসিকতা কার্যকরী হতে পারে, যেমন পূর্বের সফল কৌশল ব্যবহার করে আমরা দ্রুত কোনো সমস্যার সমাধান খুঁজে পেতে পারি। তবে, এটি অনেক সম্ভাব্য এবং অধিক কার্যকর সমাধানকে বাদ দিয়ে দিতে পারে।
[[চিত্র:Candle_task.png|থাম্ব|মোমবাতির কাজ হলো একটি উদাহরণ যা দেখায় কীভাবে বন্ধ মানসিকতা "কার্যকরী স্থিরতা" সৃষ্টি করে।]]
==== কার্যকরী স্থিরতা ====
''[[চিন্তন ও নির্দেশনা/সমস্যা সমাধান, সমালোচনামূলক চিন্তন ও যুক্তি#glos Functional fixedness|কার্যকরী স্থিরতা]]'' হলো এক ধরনের মানসিক গঠন যেখানে আমরা কোনো বস্তুর প্রচলিত কাজেই সীমাবদ্ধ থাকি এবং তার নতুন সম্ভাব্য ব্যবহারগুলো উপেক্ষা করি।<ref name=":203" />
"কার্যকরী স্থিরতা"-এর একটি প্রথাগত উদাহরণ হলো "মোমবাতির সমস্যা"।<ref>Duncker, K. (1945). On Problem Solving. Psychological Monograph, Whole No. 270.</ref> ধরুন আপনি একটি টেবিলের সামনে বসে আছেন। এখানে একটি বাক্স ভর্তি ট্যাক, একটি মোমবাতি এবং কিছু ম্যাচ আছে। আপনাকে বলা হলো যত দ্রুত সম্ভব একটি জ্বলন্ত মোমবাতিকে কর্কবোর্ড দেওয়ালে এমনভাবে বসাতে হবে যাতে মোম টেবিলে গলে না পড়ে। কার্যকরী স্থিরতা-এর কারণে আপনি প্রথমে মনে করতে পারেন ট্যাক ব্যবহার করে মোমবাতিকে দেয়ালে পিন করে দেওয়াটাই সঠিক। কারণ সাধারণত ট্যাক এমন কাজেই ব্যবহৃত হয়—এই অভ্যস্ততাই এক্সপেরিমেন্টের অংশগ্রহণকারীদের প্রভাবিত করেছিল। কিন্তু এটি ভুল সমাধান কারণ এতে মোম টেবিলে গলে পড়বে।
সবচেয়ে কার্যকর সমাধান হলো ট্যাক ভর্তি বাক্সটিকে শুধু একটি ধারক হিসেবে না দেখে একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কল্পনা করা। যদি আমরা বাক্সটি খালি করি, তবে এটি মোমবাতির জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ব্যবহার করতে পারি এবং ট্যাকগুলো দিয়ে বাক্সটিকে দেয়ালে লাগাতে পারি। প্রথমে এই সমাধানটি ভাবা কঠিন। কারণ আমরা বাক্সটিকে সাধারণত ট্যাক রাখার পাত্র হিসেবেই ভাবি এবং এর অন্য কোনো ব্যবহার কল্পনা করতে পারি না (যেমন, এটি একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করতে পারে)। এই পরীক্ষাটি দেখায় কিভাবে পূর্ব জ্ঞান আমাদের চিন্তাকে সীমাবদ্ধ করতে পারে এবং সমস্যা সমাধানে বাধা সৃষ্টি করতে পারে।
===== কার্যকরী স্থিরতা কাটিয়ে ওঠার কৌশল =====
ম্যাকক্যাফ্রে (২০১২) এর প্রস্তাব অনুযায়ী,<ref name=":27">McCaffrey, T. (2012). Innovation relies on the obscure: A key to overcoming the classic problem of functional fixedness. Psychological Science, 23(3), 215-218.</ref> কার্যকরী স্থিরতা কাটিয়ে ওঠার একটি উপায় হলো বস্তুকে খণ্ড খণ্ড অংশে ভাগ করা। এভাবে আমরা দুটি মৌলিক প্রশ্ন করতে পারি: “এটি কি আরও ছোট অংশে ভাঙা যায়?” এবং “আমার বর্ণিত অংশের নাম কি কোনো ব্যবহার নির্দেশ করে?” এই বিষয়টি বোঝাতে ম্যাকক্যাফ্রে একটি "স্টিলের আংটি চিত্র-৮" উদাহরণ দিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে একজন ব্যক্তিকে দুটি স্টিল রিং, একটি মোমবাতি এবং একটি ম্যাচ দেওয়া হয়। তাকে বলা হয় এই দুটি রিংকে মিলিয়ে একটি ৮ আকৃতি তৈরি করতে।
ব্যক্তি যখন সরঞ্জামগুলোর দিকে তাকায় তখন সে ভাবতে পারে মোমবাতির মোম গলিয়ে স্টিল রিং দুটি জোড়া লাগানো যেতে পারে। কিন্তু মোম যথেষ্ট শক্ত নয়। তখন প্রশ্ন দেখা দেয়, কীভাবে রিং দুটি জোড়া লাগানো যায়।
এখানে মোমবাতির সলতা একটি টুল হিসেবে রয়ে যায়, কিন্তু যখন আমরা এটিকে আলো দেওয়ার উপায় হিসেবে ভাবি, তখন আমরা বিকল্প ব্যবহার ভাবতে পারি না। কিন্তু যদি আমরা সলতাকে শুধুই একটি মোমে মোড়ানো সুতা হিসেবে দেখি, তাহলে আমরা সঠিক সমাধানে পৌঁছাতে পারি। এই সুতা ব্যবহার করে দুটি রিংকে একসাথে বাঁধা যেতে পারে। ম্যাকক্যাফ্রে (২০১২) দেখিয়েছেন। এরা এই কৌশলে প্রশিক্ষিত ছিল তারা কন্ট্রোল গ্রুপের তুলনায় ৬৭% বেশি সমস্যার সমাধান করতে পেরেছিল।<ref name=":27" />
====== শিক্ষণতাত্ত্বিক প্রভাব ======
এই কৌশলটি কার্যকর প্রমাণিত হওয়ায়, এটি নির্দেশ করে বহুবিধ চিন্তাভাবনা শেখাতে শিক্ষার্থীদের শেখানো উচিত: “এই বস্তুটি আরও ছোট অংশে ভাগ করা যায় কি না”<ref name=":27" /> এবং “বর্ণিত অংশের নাম কোনো নির্দিষ্ট ব্যবহার নির্দেশ করে কি না”। এতে শিক্ষার্থীরা বস্তুগুলিকে তাদের মৌলিক রূপে বিশ্লেষণ করতে শিখবে এবং সমস্যার অস্পষ্ট বৈশিষ্ট্যগুলোকে স্পষ্ট করে তুলতে পারবে। এটি পূর্বে আলোচিত "ধারণাকরণ"-এর ধারণার সঙ্গে যুক্ত যেখানে সমস্যা সমাধানের দক্ষতা বাড়ানো যায় সমস্যাটি সঠিকভাবে সংজ্ঞায়িত করার ওপর জোর দিয়ে, আমাদের পূর্বধারণার ওপর ভিত্তি করে হঠাৎ সিদ্ধান্ত না নিয়ে। পরবর্তী অংশে আমরা আলোচনা করবো সমস্যা সমাধানে বিশেষজ্ঞরা কী কৌশল ব্যবহার করেন।
== সমস্যা সমাধানে নবীন বনাম বিশেষজ্ঞ ==
অনেক গবেষক মনে করেন, কার্যকর সমস্যা সমাধান দুটি গুরুত্বপূর্ণ ভেরিয়েবলের উপর নির্ভর করে: আমরা নির্দিষ্ট ধরণের সমস্যাগুলো সমাধানে কতটা অভিজ্ঞ তা<ref name=":28">Taconis, R., Ferguson-Hessler, M. G. M., & Broekkamp, H. (2002). Teaching science problem solving: An overview of experimental work. Journal of Research in Science Teaching, 38, 442–46</ref>। এটি আমরা পূর্বে আলোচনা করেছি যে, সমস্যা-ভিত্তিক পদ্ধতিতে অনুশীলনের মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের দক্ষতা বাড়ানো যায়। তবে দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হলো আমরা নির্দিষ্ট বিষয়ে কতটা জ্ঞান রাখি<ref name=":28" />। বিশেষজ্ঞদের সেই বিষয়ে বিপুল পরিমাণ জ্ঞান থাকে। এটি তাদের প্রাসঙ্গিক সমস্যার সমাধানে দ্রুত ও কার্যকরী সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করে। বিশেষজ্ঞরা নিজেদের জ্ঞানকে সংগঠিতভাবে সাজাতে পারেন। এটি তাদের তথ্য বোঝা, সাজানো ও ব্যাখ্যা করার প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করে এবং এর ফলে তারা নবীনদের তুলনায় ভালোভাবে স্মরণ, বিশ্লেষণ এবং সমাধান করতে সক্ষম হন।<ref>Bransford, J. D., Brown, A. L., & Cocking, R. R. (Eds.). (2000). How people learn: Brain, mind, experience, and school. Washington, DC: National Academies Press.</ref>
বিশেষজ্ঞ ও নবীনদের সমস্যা সমাধানের কৌশলের মধ্যে তুলনা করলে দেখা যায়, বিশেষজ্ঞরা সাধারণত তাদের জ্ঞানকে গভীর কাঠামো বা মৌলিক ধারণার চারপাশে সংগঠিত করেন, যেমন সমস্যাটি সমাধানে কী ধরণের কৌশল প্রয়োজন<ref name=":29">Novick, L. R., & Bassok, M. (2005). Problem solving. In K. Holyoak & R. Morrison (Eds.), The Cambridge handbook of thinking and reasoning (pp. 321–350). Cambridge, UK: Cambridge University Press.</ref>। এর বিপরীতে, নবীনরা সমস্যাগুলোকে বাহ্যিক কাঠামোর ভিত্তিতে শ্রেণিবদ্ধ করে, যেমন সমস্যায় থাকা বস্তুগুলো।<ref name=":29" />
বিশেষজ্ঞরা সমস্যা বিশ্লেষণ ও শনাক্ত করতে নবীনদের তুলনায় বেশি সময় ব্যয় করেন। তারা সমাধান বাস্তবায়নের আগে চিন্তা ও পরিকল্পনার জন্য বেশি সময় নেন এবং কিছু নির্দিষ্ট কৌশল ব্যবহার করেন যা তাদের আরও কার্যকর সমাধান দিতে সক্ষম করে।<ref>Fuchs, L. S., Fuchs, D., Stuebing, K., Fletcher, J. M., Hamlett, C. L., & Lambert, W. (2008). Problem solving and computational skills: Are they shared or distinct aspects of mathematical cognition? Journal of Educa- tional Psychology, 100, 30–</ref>
এছাড়াও, বিশেষজ্ঞরা নবীনদের তুলনায় সমস্যার গভীর এবং পূর্ণাঙ্গ উপস্থাপনায় নিয়োজিত থাকেন, যেমন বাহ্যিক উপস্থাপন পদ্ধতি—ডায়াগ্রাম বা স্কেচ—ব্যবহার করে তথ্য তুলে ধরা এবং সমস্যার সমাধান করা। এর ফলে তারা দ্রুত এবং আরও ভালো সমাধানে পৌঁছাতে পারেন।<ref name=":30">McNeill, K., & Krajcik, J. (2008). Scientific explanations: Characterizing and evaluating the effects of teachers’ instructional practices on student learning. Journal of Research in Science Teaching, 45, 53–78.</ref>
উপরের আলোচনার ভিত্তিতে বলা যায়, সমস্যা সমাধান ও দক্ষতা একে অপরের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। কারণ বিশেষজ্ঞরা যেসব কৌশল ব্যবহার করেন সেগুলো কার্যকর সমস্যা সমাধানের কৌশল হিসেবেও চিহ্নিত হয়েছে। তাই বলা যায়, বিশেষজ্ঞদের শুধু বিষয়ভিত্তিক জ্ঞানই বেশি নয়, তারা জানেন এবং প্রয়োগ করেন সবচেয়ে কার্যকর কৌশলগুলো যাতে করে তারা নবীনদের তুলনায় আরও দ্রুত এবং দক্ষতার সঙ্গে সমস্যার সমাধান করতে পারেন।<ref name=":30" /> পরবর্তী অংশে আমরা আলোচনা করবো সমস্যা সমাধান ও সমালোচনামূলক চিন্তার মধ্যকার সম্পর্ক।
== সমস্যা সমাধানে কগনিটিভ টিউটর ==
কগনিটিভ টিউটর বা জ্ঞানীয় শিক্ষক হলো এক ধরনের বুদ্ধিমান শিক্ষণ সহায়ক পদ্ধতি।<ref name=":332">Aleven, V. A. W. M. M., & Koedinger, K. R. (2002) An effective meta-cognitive strategy: learning by doing and explaining with a computer-based Cognitive Tutor. Cognitive Science, 26(2), 147–179.</ref> এটি শিক্ষার্থীদের আলাদা ভিত্তিতে বিভিন্ন ধরণের সমস্যা দিতে পারে, ব্যবহারকারীর সমাধান প্রক্রিয়া ট্র্যাক করতে পারে, প্রয়োজনীয় মুহূর্তে প্রতিক্রিয়া ও ইঙ্গিত দিতে পারে এবং দক্ষতা অর্জনের মানদণ্ড বাস্তবায়ন করতে পারে।<ref name=":342">Anderson, J. R., Corbett, A. T., Koedinger, K. R., & Pelletier, R. (1995). Cognitive Tutors: Lessons learned. Journal of the Learning Sciences, 4(2), 167.</ref>
অ্যান্ডারসন এবং তার সহকর্মীদের মতে,<ref name=":342" /> যারা LISP টিউটরের সাহায্যে কাজ করেছে তারা সমস্যাগুলো ৩০% দ্রুত সমাধান করেছে এবং ৪৩% ভালো ফল করেছে তাদের সহপাঠীদের তুলনায় যারা শুধু শিক্ষকের সহায়তায় মিনি কোর্স করেছিল। একইভাবে। এরা এসিটি প্রোগ্রামিং টিউটর (APT) ব্যবহার করেছে (এটি তাত্ক্ষণিক প্রতিক্রিয়া দেয়) তারা ঐ সমস্যার সেটগুলো দ্রুত শেষ করেছে এবং পরীক্ষায় ২৫% বেশি নম্বর পেয়েছে ঐসব শিক্ষার্থীদের তুলনায় যারা প্রচলিত উপায়ে ক্লাস করেছে।<ref name=":35">Corbett, A. T., & Anderson, J. R. (2001). Locus of feedback control in computer-based tutoring: Impact on learning rate, achievement and attitudes. In Proceedings of the SIGCHI Conference on Human Factors in Computing Systems (pp. 245–252). New York, NY, USA: ACM.</ref> এছাড়াও, উচ্চ বিদ্যালয়ের জ্যামিতি ক্লাসে যারা সমস্যা সমাধানের জন্য জ্যামিতি প্রমাণ টিউটর (GPT) ব্যবহার করেছে তারা পরবর্তীতে নেওয়া পরীক্ষায় ঐসব শিক্ষার্থীদের চেয়ে বেশি নম্বর পেয়েছে যারা প্রচলিত ক্লাসরুম কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেছিল।<ref name=":36">Koedinger, K. R., & Corbett, A. (2006). Cognitive tutors. The Cambridge handbook of the learning sciences, 61-77.</ref>
=== কগনিটিভ টিউটরের একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ ===
১৯৮৫ সালে, অ্যান্ডারসন, বয়েল এবং রেইগসার বুদ্ধিমান টিউটরিং সিস্টেমে কগনিটিভ সাইকোলজির শাখাটি যুক্ত করেন। সেই সময় থেকে, বুদ্ধিমান টিউটরিং সিস্টেম এই পদ্ধতিকে গ্রহণ করে শিক্ষার্থীদের জ্ঞান অর্জনের জন্য কগনিটিভ মডেল নির্মাণ করে। এর নাম দেওয়া হয় কগনিটিভ টিউটর।<ref name=":343" /> সবচেয়ে বহুল ব্যবহৃত কগনিটিভ টিউটর হলো কগনিটিভ_টিউটর® Algebra I।<ref name=":362" /> কার্নেগি লার্নিং, ইনকর্পোরেটেড। এর মালিকানাধীন ট্রেডমার্ক এটি, তারা পূর্ণাঙ্গ কগনিটিভ_টিউটর® বিকাশ করছে। এর মধ্যে রয়েছে বীজগণিত I, II, বীজগণিতের সেতু, জ্যামিতি, এবং সমন্বিত গণিত I, II, III। কগনিটিভ_টিউটর® এখন স্প্যানিশ মডিউলও অন্তর্ভুক্ত করেছে।
কগনিটিভ টিউটর শেখার প্রক্রিয়াকে “কাজ করে শেখা”-এর ধারণাকে সমর্থন করে। এটি মানবিক টিউটরিংয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যভিত্তিক দক্ষতা বা ধারণা প্রয়োগের সুযোগ ও বিষয়বস্তুভিত্তিক প্রতিক্রিয়া প্রদান করে।<ref name=":362" /> শিক্ষার্থীদের পারফরম্যান্স পর্যবেক্ষণের জন্য, কগনিটিভ টিউটর দুটি ''[[চিন্তন ও নির্দেশনা/সমস্যা সমাধান, সমালোচনামূলক চিন্তন ও যুক্তি#glos Algorithms|অ্যালগরিদম]]'' ব্যবহার করে — মডেল ট্রেসিং ও নলেজ ট্রেসিং। মডেল ট্রেসিং তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া প্রদান করে এবং শিক্ষার্থীর প্রতিটি ধাপে নির্দিষ্ট বিষয়বস্তুভিত্তিক পরামর্শ দেয়।<ref name=":343" /> নলেজ ট্রেসিং ব্যবহারকারীর পূর্বজ্ঞান অনুসারে প্রতিটি ব্যবহারকারীর জন্য উপযুক্ত কাজ নির্বাচন করে যাতে তারা মাস্টারি লার্নিং অর্জন করতে পারে।<ref name=":343" /><ref name=":362" />
কগনিটিভ টিউটর বিভিন্ন পাঠ্যক্রম বা বিষয়ে তৈরি এবং প্রয়োগ করা যায় শিক্ষার্থীদের শেখায় সহায়তা করার জন্য, এবং ক্লাসরুম লার্নিং-এ অভিযোজিত সফটওয়্যার হিসেবে সংযুক্ত করা যায়। এই পাঠ্যক্রম ও বিষয়গুলির মধ্যে রয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের গণিত,<ref name=":333" /> <ref name=":352" /> <ref>Koedinger, K. R. (2002). Toward evidence for instructional design principles: Examples from Cognitive Tutor Math 6. In Proceedings of PME-NA XXXIII (The North American Chapter of the International Group for the Psychology of Mathematics Education).</ref> উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জেনেটিকস,<ref>Corbett, A., Kauffman, L., Maclaren, B., Wagner, A., & J,.ones, E. (2010). A Cognitive Tutor for genetics problem solving: Learning gains and student modeling. Journal of Educational Computing Research, 42(2), 219–239.</ref> এবং প্রোগ্রামিং।<ref name=":343" /><ref name=":352" /><ref>Corbett, A. T., & Anderson, J. R. (2008). Knowledge decomposition and sub-goal reification in the ACT programming tutor. Department of Psychology, 81.</ref><ref>Corbett, A. T., & Bhatnagar, A. (1997). Student modelling in the ACT programming tutor: Adjusting a procedural learning model with declarative knowledge. In User modelling (pp. 243-254). Springer Vienna.</ref>
কগনিটিভ টিউটর শ্রেণীকক্ষ, শিক্ষার্থীদের উৎসাহ এবং অর্জনে বিশাল প্রভাব ফেলেছে।<ref>Corbett, A. (2002). Cognitive tutor algebra I: Adaptive student modelling in widespread classroom use. In Technology and assessment: Thinking ahead. proceedings from a workshop (pp. 50-62).</ref> কগনিটিভ টিউটরের কার্যকারিতা সম্পর্কে গবেষণার প্রমাণগুলো ইঙ্গিত করে, এটি শ্রেণীকক্ষ শিক্ষার তুলনায় অধিক কার্যকর।<ref name=":343" /><ref>Koedinger, K. R. & Anderson, J. R. (1993). Effective use of intelligent software in high school math classrooms. In Proceedings of the World Conference on Artificial Intelligence in Education, (pp. 241-248). Charlottesv</ref><ref>Koedinger, K., Anderson, J., Hadley, W., & Mark, M. (1997). Intelligent tutoring goes to school in the big city. Human-Computer Interaction Institute.</ref><ref name=":352" />
=== কগনিটিভ টিউটরের তাত্ত্বিক পটভূমি ===
==== [http://en.wikibooks.org/wiki/Cognition_and_Instruction/Long-Term_Memory#The_ACT-R_Theory ACT-R তত্ত্ব] ====
কগনিটিভ টিউটরের তাত্ত্বিক পটভূমি হলো ACT-R তত্ত্ব অফ লার্নিং অ্যান্ড পারফরম্যান্স। এটি প্রক্রিয়াগত জ্ঞান এবং ঘোষণামূলক জ্ঞানের মধ্যে পার্থক্য করে।<ref name=":343" /> ACT-R তত্ত্ব অনুযায়ী, প্রক্রিয়াগত জ্ঞান সরাসরি মানুষের মাথায় ঢোকানো যায় না, এবং এটি if-then ''[[চিন্তন ও নির্দেশনা/সমস্যা সমাধান, সমালোচনামূলক চিন্তন ও যুক্তি#glos গুণন|গুণন]]'' বিধির মাধ্যমে উপস্থাপন করা যায়। প্রক্রিয়াগত জ্ঞান অর্জনের একমাত্র উপায় হলো কাজ করে শেখা।
==== [http://en.wikibooks.org/wiki/Cognition_and_Instruction/Long-Term_Memory#Production_Rule_Models_of_Memory প্রোডাকশন রুলস] ====
প্রোডাকশন রুলস দেখায় কিভাবে শিক্ষার্থীরা, তারা নতুন হোক বা অগ্রসর, একটি নির্দিষ্ট বিষয় বা ক্ষেত্রে চিন্তা করে।<ref name=":343" /> প্রোডাকশন রুলস শিক্ষার্থীদের অনানুষ্ঠানিক বা স্বতঃসিদ্ধ চিন্তাভাবনাকে উপস্থাপন করতে পারে।<ref>Koedinger, K. R., & Corbett, A. (2006). Cognitive tutors. The Cambridge handbook of the learning sciences, 61-77.</ref> এই অনানুষ্ঠানিক বা স্বতঃসিদ্ধ চিন্তাভাবনা সাধারণত পাঠ্যপুস্তকে শেখানো ধারণার চেয়ে ভিন্ন হয়, এবং শিক্ষার্থীরা স্কুলের বাইরেও এমন চিন্তার ধরন অর্জন করতে পারে।<ref>Resnick, L. B. (1987). Learning in school and out. Educational Researcher, 16(9), 13-20.</ref> সমস্যার সমাধানে নির্দিষ্ট অপারেশনের পরিবর্তে একটি পরিকল্পনা প্রদান করা যেমন হিউরিস্টিক পদ্ধতি;<ref>Polya, G. (1957). How to Solve It: A New Aspect of Mathematical Method. (2nd ed.). Princeton, NJ: Princeton University Press.</ref> এবং বিকল্প কৌশল যেমন প্রতীক ছাড়াও গ্রাফিক্স ব্যবহার করে সমীকরণ সমাধান করাও<ref name=":362" /> প্রোডাকশন রুলের মাধ্যমে উপস্থাপন করা যায়।
==== কগনিটিভ মডেল এবং মডেল ট্রেসিং ====
কগনিটিভ মডেল ACT-R তত্ত্ব এবং শিক্ষার্থীদের উপর পরিচালিত গবেষণার উপর ভিত্তি করে গঠিত।<ref name=":362" /> শিক্ষার্থীদের সব সমাধান এবং সাধারণ ভ্রান্ত ধারণাগুলো কগনিটিভ মডেলের প্রোডাকশন সিস্টেমে উপস্থাপিত হয়।
{| border="1" style="background-color:Whitesmoke" cellpadding="10px" cellspacing="8px" align="center"
|একটি বীজগণিতীয় সমীকরণ সমাধানের তিনটি কৌশল
|-
|<blockquote>'''সমীকরণ''': 2(3+X)=10</blockquote><blockquote>'''কৌশল ১''': 2x3+2xX=10</blockquote><blockquote>'''কৌশল ২''': 2(3+X)÷2=10÷2</blockquote><blockquote>'''কৌশল ৩''': 2x3+X=10</blockquote>
|}
উদাহরণস্বরূপ, 2(3+X)=10 এই বীজগণিতীয় সমীকরণ সমাধানের তিনটি কৌশল রয়েছে। কৌশল ১ হলো ২ দ্বারা (3+X) গুণ করা; কৌশল ২ হলো উভয় পাশে ২ দ্বারা ভাগ করা; কৌশল ৩ হলো ২ দ্বারা শুধু ৩ গুণ করে X কে গুণ না করে ভুল ধারণা প্রদর্শন করা। যেহেতু প্রতিটি কাজের একাধিক পদ্ধতি থাকতে পারে, শিক্ষার্থীরা তাদের সুবিধামত সমাধান পদ্ধতি বেছে নিতে পারে।
মডেল ট্রেসিং একটি অ্যালগরিদম যা শিক্ষার্থীদের শেখার প্রতিটি ধাপ অনুসরণ করতে পারে এবং তাত্ক্ষণিক, প্রসঙ্গভিত্তিক প্রতিক্রিয়া প্রদান করে। যদি শিক্ষার্থী সঠিক উত্তর বেছে নেয়, যেমন কৌশল ১ বা কৌশল ২ ব্যবহার করে সমাধান করে, কগনিটিভ_টিউটর® এটি গ্রহণ করে এবং শিক্ষার্থীকে পরবর্তী কাজ দেয়। যদি শিক্ষার্থীর ভুলটি একটি সাধারণ ভ্রান্ত ধারণার সঙ্গে মিলে যায়, যেমন কৌশল ৩, কগনিটিভ_টিউটর® এটিকে ভুল হিসেবে চিহ্নিত করে এবং তাৎক্ষণিকভাবে পরামর্শ দেয়, যেমন: "X-কে ২ দ্বারা গুণ করাও প্রয়োজন।" যদি শিক্ষার্থীর ভুল কোনো প্রোডাকশন রুলের সঙ্গে না মেলে, অর্থাৎ উপরোক্ত কোনো কৌশল ব্যবহার না করে, তাহলে কগনিটিভ_টিউটর® এই ধাপটিকে লাল রঙ ও ইটালিকে একটি ভুল হিসেবে চিহ্নিত করে। সমস্যার সমাধান করার সময় শিক্ষার্থীরা যে কোনো সময়ে সাহায্য বা ইঙ্গিত চাইতে পারে। করবেটের মতে,<ref name=":352" /> তিনটি স্তরের পরামর্শ রয়েছে: প্রথমত, একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য অর্জনের পরামর্শ; দ্বিতীয়ত, সেই লক্ষ্য অর্জনের জন্য সাধারণ ধারণা প্রদান; এবং তৃতীয়ত, বর্তমান প্রসঙ্গে সমস্যার সমাধান সম্পর্কে বিস্তারিত পরামর্শ।
==== নলেজ ট্রেসিং ====
নলেজ ট্রেসিং সমস্যার সমাধান প্রক্রিয়ায় শিক্ষার্থীদের ক্রমবর্ধমান প্রোডাকশন রুলস পর্যবেক্ষণ করতে পারে। প্রতিটি শিক্ষার্থী সমস্যার প্রতিটি ধাপে একটি প্রোডাকশন রুল নির্বাচন করতে পারে, এবং কগনিটিভ টিউটর শিক্ষার্থী ঐ নির্দিষ্ট রুল শিখেছে কিনা, তার সম্ভাব্যতা আপডেট করে হিসাব করতে পারে।<ref name=":352" /><ref name=":362" /> এই সম্ভাব্যতা অনুমানসমূহ সফটওয়্যারের ইন্টারফেসে স্কিল-মিটার-এ দেখানো হয়। এই অনুমান ব্যবহার করে কগনিটিভ টিউটর শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত চাহিদার ভিত্তিতে উপযুক্ত কাজ বা সমস্যা নির্বাচন করতে পারে।
=== কার্যকারিতা ===
==== কগনিটিভ টিউটর® জ্যামিতি ====
অ্যালেভেন এবং কোয়েডিঙ্গার দুটি পরীক্ষা পরিচালনা করেছিলেন যাতে দেখা যায় কগনিটিভ টিউটর® কি উচ্চ বিদ্যালয়ের জ্যামিতি ক্লাসে আত্ম-ব্যাখ্যাকে কার্যকরভাবে সহায়তা করতে পারে কিনা।<ref name=":334" /> গবেষণার ফলাফল ইঙ্গিত দেয় যে “কগনিটিভ টিউটর® ব্যবহারে সমস্যা-সমাধানের অনুশীলন তখনই আরও কার্যকর হয় যখন শিক্ষার্থীরা তাদের পদক্ষেপগুলোর ব্যাখ্যা সমস্যা-সমাধানের নীতিগুলোর মাধ্যমে দেয়।”<ref name=":33 page"><Aleven, V. A. W. M. M., & Koedinger, K. R. (2002). An effective metacognitive strategy: learning by doing and explaining with a computer-based Cognitive Tutor. Cognitive Science, 26(2), 147–179. p. 173</ref>
জ্যামিতি শেখার ক্ষেত্রে এটি তখন ঘটে যখন শিক্ষার্থীদের পূর্বজ্ঞানভিত্তিক উৎপাদন নিয়মগুলো অতিরঞ্জিত হয়। এর ফলে তারা তথ্যকে ভাসাভাসাভাবে গ্রহণ করে এবং শেখে। উদাহরণস্বরূপ, একটি শিক্ষার্থী সঠিক উত্তর বেছে নিয়ে পরবর্তী ধাপে চলে যেতে পারে এমন একটি অতিরঞ্জিত নিয়ম অনুসরণ করে—''যদি একটি কোণ অন্য একটি কোণের মতো দেখায়, তবে সেটি সমান''—প্রকৃত বোঝাপড়া ছাড়াই। অ্যালেভেন এবং কোয়েডিঙ্গার অনুযায়ী, আত্ম-ব্যাখ্যার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা আরও সাধারণ রূপে নিয়মগুলোর ব্যাখ্যা করতে শেখে এবং এটি তাদের আরও গভীরভাবে চিন্তা করতে এবং জ্যামিতি বিষয়ক নিয়মগুলোর ওপর স্পষ্টভাবে প্রতিফলন করতে উৎসাহিত করে।<ref name=":334" />
গবেষণার অন্তর্ভুক্ত সকল জ্যামিতির ক্লাসে ছিল শ্রেণিকক্ষ আলোচনা, ক্ষুদ্র-দলীয় কার্যক্রম, বক্তৃতা এবং কগনিটিভ টিউটর® ব্যবহারে সমস্যা সমাধান। উভয় পরীক্ষায়, শিক্ষার্থীদের কগনিটিভ টিউটর® এর সাহায্যে সমস্যা সমাধান করতে হয়েছে। তবে কগনিটিভ টিউটর®-এর দুটি আলাদা সংস্করণ ব্যবহার করা হয়েছে—নতুন সংস্করণটি আত্ম-ব্যাখ্যাকে সহায়তা করতে পারে, যেটি "কাজ এবং ব্যাখ্যার মাধ্যমে শিক্ষণ পরিচালিত করা" নামেও পরিচিত,<ref name=":334" /> আর অন্যটি পারে না। নতুন সংস্করণে এমন অতিরিক্ত বৈশিষ্ট্য ছিল যা শিক্ষার্থীদের প্রতিটি ধাপকে যুক্তিযুক্ত করতে জ্যামিতির নীতিমালা প্রবেশ করানো অথবা অনলাইন গ্লসারির সঙ্গে সেগুলোর সংযোগ করানো বাধ্যতামূলক করেছিল, একইসঙ্গে শিক্ষার্থীরা তাদের পছন্দ অনুযায়ী ব্যাখ্যা এবং সমাধান দিতে পারত। নতুন সংস্করণের ব্যাখ্যার ধরনটি কথ্য ব্যাখ্যার চেয়ে আলাদা ছিল। এটি আত্ম-ব্যাখ্যাবিষয়ক আরেকটি পরীক্ষায় উল্লেখ করা হয়েছে। গবেষকরা দেখতে পান। এরা নতুন সংস্করণ ব্যবহার করেছে তারা শুধু যে আরও নিখুঁতভাবে ব্যাখ্যা দিতে পেরেছে তা-ই নয়, বরং তারা জ্যামিতি বিষয়ে আরও গভীরভাবে নিয়মগুলো বুঝতে পেরেছে। ফলে, তারা সেই শেখা নিয়মগুলো নতুন পরিস্থিতিতেও প্রয়োগ করতে পেরেছে এবং ভাসাভাসা শেখা এড়াতে সক্ষম হয়েছে।
==== জেনেটিক্স কগনিটিভ টিউটর ====
করবেট ও সহকর্মীরা (২০১০) জেনেটিক্স কগনিটিভ টিউটর-এর দুটি মূল্যায়ন পরিচালনা করেন আমেরিকার ১২টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৭ ধরণের জীববিজ্ঞান কোর্সে। গবেষণায় দেখা গেছে, পোস্ট-সেকেন্ডারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জেনেটিক্স সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে জেনেটিক্স কগনিটিভ টিউটর ব্যবহার কার্যকর ছিল।<ref>Corbett, A., Kauffman, L., Maclaren, B., Wagner, A., & Jones, E. (2010). A Cognitive Tutor for genetics problem solving: Learning gains and student modelling. Journal of Educational Computing Research, 42(2), 219–239.</ref>
প্রথম মূল্যায়নে, অংশগ্রহণকারীরা ক্লাস কার্যক্রম অথবা হোমওয়ার্ক হিসেবে জেনেটিক্স কগনিটিভ টিউটর ব্যবহার করে। সফটওয়্যারটিতে ১৬টি মডিউল রয়েছে এবং এতে প্রায় ১২৫টি সমস্যা পাঁচটি সাধারণ জেনেটিক বিষয়ের উপর ভিত্তি করে। জেনেটিক্স কগনিটিভ টিউটর জেনেটিক্স সমস্যা সমাধানের জন্য ধাপে ধাপে সহায়তা দেয় এবং এতে উভয় মডেল ট্রেসিং এবং নলেজ ট্রেসিং ব্যবহার করা হয়। প্রাক-পरीক্ষণের গড় সঠিকতার হার ছিল ৪৩% এবং পরবর্তী পরীক্ষায় তা বেড়ে হয় ৬১%, অর্থাৎ গড় উন্নতি ছিল ১৮%। দ্বিতীয় মূল্যায়নে গবেষকরা খতিয়ে দেখেন, জ্ঞান ট্রেসিং অ্যালগরিদম শিক্ষার্থীদের জ্ঞানের সঠিক পূর্বাভাস দিতে পারে কিনা। ফলাফল অনুযায়ী, অ্যালগরিদমটি কাগজ-কলমভিত্তিক পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের পারফরম্যান্স যথাযথভাবে পূর্বানুমান করতে সক্ষম।
== প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা এবং নকশা চিন্তন ==
=== বাস্তব জীবনের সমস্যার সমাধানে তাত্ত্বিক চিন্তা ===
''[[চিন্তন ও নির্দেশনা/সমস্যা সমাধান, সমালোচনামূলক চিন্তন ও যুক্তি#glos Project Project Based Learning|প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা]]'' একটি ধারণা যা শিক্ষার্থীকে শিক্ষার কেন্দ্রে স্থাপন করার উদ্দেশ্যে তৈরি। এই শিক্ষায় শিক্ষার্থীকে একটি জটিল চ্যালেঞ্জ বা প্রশ্নের উত্তরে দীর্ঘ সময় ধরে অনুসন্ধানমূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করতে উৎসাহিত করা হয়। প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষার উদ্দেশ্য হল শিক্ষার্থী যেন পাঠ্যক্রম অনুসরণ করার পাশাপাশি তাদের বিদ্যমান জ্ঞান ব্যবহার করে সমস্যার সমাধান খুঁজে বের করতে পারে। মূলত, এটি এমন একটি কার্যকলাপ যেখানে শিক্ষার্থীরা বাস্তব জীবনের সমস্যা বা ইস্যুর উপর ভিত্তি করে একটি বিষয় সম্পর্কে ধারণা তৈরি করে এবং তাদের শিক্ষাক্রমের নকশা করায় এক ধরনের দায়িত্ব পালন করে<ref>Morgan, Alistar. (1983). Theoretical Aspects of Project-Based Learning in Higher Education. British Journal of Educational Technology, 14(1), 66-78.</ref>। ব্লুমেনফেল্ড প্রমুখ (১৯৯১) উল্লেখ করেছেন যে প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা শিক্ষার্থীকে তাদের মূল প্রশ্ন, কার্যকলাপ এবং তৈরি করা শিল্পকর্মের প্রক্রিয়ার প্রতি দায়িত্ববান করে তোলে<ref name=":48">Blumenfeld, Phyllis C., Elliot Soloway, Ronald W. MArx, Joseph S. Krajick, Mark Guzdial, Annemarie Palincsar.. (1991). Motivating Project-Based Learning: Sustaining the Doing, Supporting the Learning. Educational Psychologist, 26(3&4), 369-398.</ref>।
প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা পাঁচটি নির্দিষ্ট মানদণ্ডের উপর ভিত্তি করে তৈরি<ref name=":37">Thomas, John W. (2000). A Review of Research on Project-Based Learning. San Rafael: Autodesk Press.</ref>:
{| border="1"
|+'''প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষার বৈশিষ্ট্য'''
|প্রকল্পগুলো পাঠ্যক্রমের কেন্দ্রবিন্দু বা প্রান্তবর্তী যে কোন অংশে হতে পারে।
|-
|প্রকল্পগুলো এমন প্রশ্ন বা সমস্যার উপর ভিত্তি করে তৈরি যা শিক্ষার্থীদের একটি নির্দিষ্ট বিষয়ের মূল ধারণা ও নীতির মুখোমুখি করে এবং সেখানে সংগ্রাম করতে বাধ্য করে।
|-
|প্রকল্পগুলো শিক্ষার্থীদের গঠনমূলক অনুসন্ধানে সম্পৃক্ত করে।
|-
|প্রকল্পগুলো কিছুটা হলেও শিক্ষার্থী পরিচালিত হয়।
|-
|প্রকল্পগুলো বাস্তবধর্মী হয়, শুধু বিদ্যালয়ভিত্তিক নয়।
|}
[[চিত্র:Problem_Based_Learning_vs_Project_Based_Learning.png|থাম্ব|প্রকৃত এবং কার্যকর সমাধান উপস্থাপনে শিক্ষার্থীদের চ্যালেঞ্জ জানায় প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা।]]
এই ধরনের চ্যালেঞ্জগুলি বাস্তব জীবনের প্রাসঙ্গিক সমস্যা নিয়ে গঠিত। এটি শিক্ষার্থীদের অনুসন্ধান প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সম্পৃক্ত করে এবং সক্রিয় বা অভিজ্ঞতালব্ধ শিক্ষার মাধ্যমে তাদের ধারণা প্রকাশে সক্ষম করে। উদাহরণস্বরূপ, প্রাথমিক বা মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের শিক্ষকের পক্ষ থেকে স্কুলে কম্পোস্ট সমস্যা সমাধানের জন্য বলা হতে পারে। শিক্ষার্থীদের দলবদ্ধভাবে গবেষণা, নির্মাণ এবং তাদের আইডিয়া প্রদর্শনের নির্দিষ্ট মানদণ্ডের মধ্যে থেকে সমাধান বের করতে উৎসাহিত করা হবে। এখানে তারা দীর্ঘ সময় ধরে বিষয়বস্তুর সাথে মানসিকভাবে যুক্ত থাকবে এবং আগ্রহ ধরে রাখবে<ref name=":48" />। ফলাফল হবে একটি জটিল শিক্ষা প্রক্রিয়া যার সফলতা কেবল অংশগুলোর যোগফল নয় বরং সামগ্রিকতায় নিহিত<ref name=":38">van Merriënboer, J. J. G., Clark, R. E., & de Croock, M. B. M. (2002). Blueprints for complex learning: The 4C/ID-model. Educational Technology Research and Development, 50(2), 39–61. doi:10.1007/bf02504993.</ref>। প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষার লক্ষ্য হলো জ্ঞান, সহযোগিতা এবং একটি চূড়ান্ত প্রকল্প উপস্থাপনের দক্ষতা সমন্বয় করা। এই ধরণের স্কিমা নির্মাণ শিক্ষার্থীদের বাস্তব প্রশিক্ষণ ব্যবহার করে কার্যকর ফলাফল তৈরিতে সাহায্য করে। শিক্ষার্থী পূর্ববর্তী জ্ঞান ব্যবহার করে নতুন তথ্যের সাথে সংযুক্ত হয় এবং একটি বিষয় সম্পর্কে তার ধারণাকে সম্প্রসারিত করে<ref name=":38" />। প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষায় এই প্রক্রিয়াটি তথ্য সংগ্রহ, দলগত আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং সমাধান তৈরি করার মাধ্যমে সম্পন্ন হয়।
সমস্যা ভিত্তিক শিক্ষার চেয়ে প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষায় নির্মাণবাদী শিক্ষার দর্শনের ভিত্তিতে অভিজ্ঞতালব্ধ শেখাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়। এখানে শিক্ষার্থীরা একটি নির্দিষ্ট চালিকাশক্তি প্রশ্নের উত্তরে বাস্তব সমাধানের দিকে অগ্রসর হয়ে তাদের জ্ঞানের পরিমাণ প্রকাশ করে। অভিজ্ঞতালব্ধ শিক্ষার এই দার্শনিক ভিত্তি এসেছে জন ডিউই এর “এডুকেশন অ্যান্ড এক্সপেরিয়েন্স” (শিক্ষা ও অভিজ্ঞতা) নামক গ্রন্থ থেকে। ডিউই মনে করতেন যে অভিজ্ঞতা একটি ধারাবাহিক শেখার প্রক্রিয়া। এটি কৌতূহল জাগায়, উদ্যোগ বৃদ্ধি করে এবং শিক্ষার্থীকে আরও জ্ঞানের দিকে এগিয়ে নিয়ে যায়<ref name=":39">Dewey, J. (1938). Experience and education. New York: Macmillan.</ref>। প্রকৃত সমস্যার সমাধানে কাজ করার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সমাধানকে বাস্তব কাঠামোর সঙ্গে যুক্ত করে এই অভিজ্ঞতালব্ধ শিক্ষা। শিক্ষার্থীদের অবশ্যই তাদের জ্ঞানের অভাব পূরণ করতে হয় গবেষণা ও দলগত সহযোগিতার মাধ্যমে। প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষায় অভিজ্ঞতা নির্ভর শেখা একটি চালিকাশক্তি প্রশ্নের উপর কেন্দ্রীভূত থাকে। এটি সাধারণত শিক্ষক কর্তৃক নির্ধারিত। শিক্ষার্থীরা এই প্রশ্নের উত্তর দিতে একটি নকশা করা শিল্পকর্ম তৈরি করে অর্জিত জ্ঞান উপস্থাপন করে।
প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষার নির্মাণবাদী পদ্ধতি শিক্ষক কর্তৃক পরিচালিত গাইডেড ডিসকভারি পদ্ধতির মাধ্যমে পরিচালিত হয়। এখানে বিশুদ্ধ স্বাধীন অনুসন্ধান। এটি অনেক সময় শিক্ষার্থীদের খুব বেশি স্বাধীনতা দেওয়ার জন্য সমালোচিত। এক্ষেত্রে এটি এড়িয়ে নির্দিষ্ট একটি প্রশ্নের মাধ্যমে শিক্ষার পথ নির্ধারণ করা হয়<ref name=":40">van Merrienboer, J. J. G., Paul A. Kirschner, & Liesbeth Kester. (2004). Taking the Load off a Learner’s Mind: Instructional Design for Complex Learning. Amsterdam: Open University of the Netherlands.</ref>। এই ধরনের নির্মাণবাদী শিক্ষাপদ্ধতি শিক্ষার্থীদের চিন্তন প্রক্রিয়া উন্নত করতে কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে<ref name=":40" />। প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা শিক্ষার্থীদের শেখানো প্রশ্নের উত্তর নিজেরা বের করতে উৎসাহিত করে এবং সেই সঙ্গে অনুসন্ধান, বিশ্লেষণ এবং উপস্থাপনার জন্য একটি কাঠামো প্রদান করে। ফলে, প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা নির্বাচন, সংগঠন এবং জ্ঞান একীভূত করার মাধ্যমে তাৎপর্যপূর্ণ ও মানসিকভাবে উপকারী শেখার সুযোগ তৈরি করে<ref name=":40" />।
=== অভিজ্ঞতা হল শেখার ভিত্তি ===
প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা শিক্ষার একটি শাখা যা কাজের মাধ্যমে শেখাকে গুরুত্ব দেয়। জন ডিউই উল্লেখ করেছেন যে শিক্ষক ও বিদ্যালয়গুলোকে অভিজ্ঞতা ও নির্মাণবাদী পদ্ধতির মাধ্যমে তত্ত্ব ও বাস্তব জীবনের মধ্যে সম্পর্ক গভীর করতে শিক্ষার্থীদের সাহায্য করা উচিত। ডিউই বলেছেন, শিক্ষার মধ্যে অভিজ্ঞতার ধারাবাহিকতা ও শিক্ষা গণতন্ত্রায়নের একটি ধারা থাকা উচিত যাতে মানব অভিজ্ঞতার মান উন্নত হয়<ref name=":39" />। এই দুটি উপাদান প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এখানে বাস্তব সমস্যা নিরসনে সমাধান উপস্থাপন এবং দলগত সহযোগিতার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের নিজস্ব সমাধান খোঁজার সুযোগ থাকে। ব্লুমেনফেল্ড প্রমুখ উল্লেখ করেছেন যে প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষার মূল্য নিহিত শিক্ষার্থীদের সাথে সম্পর্কিত প্রশ্নে — যেমন ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য, সমাজের সমস্যা, বা চলমান ঘটনাবলীতে<ref name=":48" />।
প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষার ভিত্তি জঁ পিয়াজের চিন্তায়ও রয়েছে, যিনি মনে করতেন যে শিক্ষার্থীরা পূর্ববর্তী জ্ঞানকে ভিত্তি করে নতুন কিছু শিখে এবং সেই সাথে নতুন সংযোগ তৈরি করে সর্বোত্তমভাবে শিখে। শিক্ষার্থীর বুদ্ধিমত্তা গঠিত হয় তার পরিবেশের উপাদানগুলো আত্মস্থ করে, এবং বিভিন্ন নতুন স্কিমাকে গ্রহণ করে পূর্ব ধারণাকে পরিবর্তন করে<ref>Piaget, Jean; Cook, Margaret (Trans). The construction of reality in the child. New York, NY, US: Basic Books The construction of reality in the child. (1954). xiii 386 pp. http://dx.doi.org/10.1037/11168-000.</ref>। পিয়াজে মনে করতেন, শিক্ষার্থী নিজেরা জ্ঞান আবিষ্কার করতে পারবে, তবে সহযোগিতা ছাড়া তাদের সমাধান সুসংগঠিত হবে না<ref name=":40" />। প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা পিয়াজের এই সম্মিলিত যোগাযোগ ও দলগত শিখনের গুরুত্বকে স্বীকৃতি দেয়।
=== আত্ম-প্রণোদনা শিক্ষার্থীর শেখাকে এগিয়ে নেয় ===
প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা শিক্ষার্থীদের বিভিন্নভাবে উপকার করে যেমন জ্ঞান অর্জন, যোগাযোগ এবং সৃজনশীলতা বৃদ্ধির মাধ্যমে। একটি নির্দিষ্ট চ্যালেঞ্জে যুক্ত হয়ে শিক্ষার্থীরা গভীরভাবে বিষয়বস্তু অনুধাবন করে। এছাড়া, সহযোগিতামূলক শিক্ষার কারণে যোগাযোগ, নেতৃত্ব এবং সামাজিক দক্ষতা বাড়ে। শিক্ষার্থীরা বিষয়বস্তু দীর্ঘ সময় ধরে মনে রাখতে পারে এবং কী শিখছে তা ভালোভাবে বোঝে। প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষাকে সমর্থন করার জন্য কমপক্ষে চারটি জ্ঞানতাত্ত্বিক ক্ষেত্র আছে<ref name=":37" /> – প্রণোদনা, দক্ষতা, প্রাসঙ্গিকতা, এবং প্রযুক্তি।
[[চিত্র:Ashs-impact_projects.ogv|থাম্ব|শিক্ষার্থীরা তাদের প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষার মডেল নিয়ে প্রেরণার কথা বলছে]]
শিক্ষার্থী যদি কোনো বিষয়ের শিখন ও পারদর্শিতার উপর ভিত্তি করে প্রণোদিত হয়, তাহলে তারা দীর্ঘস্থায়ীভাবে তাদের কাজের সাথে যুক্ত থাকে<ref>Ames, C. (1992). Classrooms: goals, structures, and student motivation. Journal of Educational Psychology, 84, 261-271.</ref>। তাই, প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা প্রতিযোগিতার পরিবর্তে সহযোগিতামূলক লক্ষ্য নির্ধারণ করে। এটিতে ব্যক্তিগত শিক্ষার্থীরা হুমকির সম্মুখীন না হয় এবং শেখায় মনোনিবেশ করতে পারে<ref name=":37" />। প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা শিক্ষার্থীদের এমনভাবে পরিকল্পনা করে যাতে তারা একসাথে লক্ষ্য অর্জন করতে পারে, ভয় বা সমালোচনার ভীতি ছাড়াই। উদাহরণস্বরূপ, হেল্লে প্রমুখ একটি গবেষণায় তথ্য ব্যবস্থা নকশা বিষয়ে শিক্ষার্থীদের সাত মাসব্যাপী একটি প্রকল্পে কাজ করতে দেন। শিক্ষার্থীদের একটি প্রশ্নপত্রের মাধ্যমে তাদের প্রেরণার মাত্রা পরিমাপ করা হয়। গবেষণায় দেখা যায় প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে অন্তর্নিহিত প্রেরণা ০.৫২ স্ট্যান্ডার্ড ডেভিয়েশন বৃদ্ধি পেয়েছে। এটি ইঙ্গিত দেয় প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষার্থীরা আত্মপ্রণোদনার মাধ্যমে কাজ সম্পন্ন করে। বিশেষভাবে। এটিদের আত্মনিয়ন্ত্রণ কম ছিল তাদের মধ্যে প্রেরণা আরও বেশি বেড়েছে<ref>Helle, Laura, Paivi Tynjara, Erkki Olkinora, Kristi Lonka. (2007). “Aint nothin’ like the real thing”. Motivation and study processes on a work-based project course in information systems design. ''British Journal of Educational Psychology,'' 70(2), 397-411.</ref>।
অনেক শিক্ষার্থীর মাঝে মেটাকগনিশন ও আত্মনিয়ন্ত্রণের অভাব রয়েছে, অথচ শিক্ষার্থীদের বিকাশে এই দক্ষতাগুলোর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে<ref name=":37" />। প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষায় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর সম্পর্কের মাধ্যমে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের উচ্চতর অনুসন্ধান পদ্ধতির মডেল হিসেবে ব্যবহার করে স্ক্যাফোল্ডিং প্রয়োগ করতে পারেন, ফলে মধ্যম ও উচ্চতর শ্রেণির শিক্ষার্থীরা অর্থপূর্ণ শিক্ষা ও পরিপক্ব ফলাফল দিতে সক্ষম হয়<ref name=":49">Joseph Krajcik , Phyllis C. Blumenfeld , Ronald W. Marx , Kristin M. Bass , Jennifer Fredricks & Elliot Soloway (1998) Inquiry in Project-Based Science Classrooms: Initial Attempts by Middle School Students, Journal of the Learning Sciences, 7:3-4, 313-350, DOI: 10.1080/10508406.1998.9672057</ref>। শিক্ষার্থীরা ধীরে ধীরে নিজেদের তৈরি করা দক্ষতার উপর বিশেষজ্ঞে পরিণত হয়।
প্রাসঙ্গিকভাবে, বাস্তব পরিস্থিতির সঙ্গে যত বেশি সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়, ততই পরিবেষ্টিত জ্ঞান কার্যকর হয়<ref name=":372" />। সেই দৃষ্টিকোণ থেকে প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা শিক্ষার্থীদের আত্মবিশ্বাস বাড়ায় যাতে তারা বিদ্যালয়ের বাইরেও অনুরূপ কাজ সফলভাবে করতে পারে। কারণ তারা বিষয়বস্তুকে জ্ঞানের কৃত্রিম সীমানা হিসেবে আর দেখে না। গর্জেস এবং গোকে (২০১৫) একটি অনলাইন জরিপের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের প্রধান প্রধান বিষয়গুলোর দক্ষতার আত্ম-উপলব্ধি এবং বাস্তব জীবনে তা প্রয়োগ করার সম্পর্কটি অনুসন্ধান করেন। শিক্ষার্থীরা সমস্যা সমাধানের দক্ষতা এবং তা বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করার বিষয়ে আত্মবিশ্বাস দেখিয়েছে, যেমন গর্জেস এবং গোকে<ref name=":41">Gorges, Julia, Thomas Goke. (2015). How do I Know what I can do? Anticipating expectancy of success regarding novel academic tasks. ''British Journal of Educational Psyschology,'' 85(1), 75-90.</ref> উল্লেখ করেন। যারা প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা অনুসরণ করেছে, তাদের আত্ম-দক্ষতা এবং গণিত (এসডি .৭৭), ইতিহাস (এসডি .৭২) ইত্যাদি বিষয়গুলোতে দক্ষতা সম্পর্কে আত্ম-ধারণা বৃদ্ধি পেয়েছে<ref name=":41" />। তাই শিক্ষার্থীরা শিক্ষাবহির্ভূত পরিবেশেও বিষয়ভিত্তিক জ্ঞান প্রয়োগে বেশি আত্মবিশ্বাসী হয়। এছাড়া, কোর্স শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এবং ১২ সপ্তাহ থেকে ২ বছরের মধ্যে শিক্ষার্থীদের তুলনায় প্রাপ্ত ফলাফল থেকে বোঝা যায়, প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা জ্ঞান ধরে রাখতে অনেক বেশি সহায়ক<ref name=":41" />।
প্রযুক্তির ব্যবহার শিক্ষার্থীদের একটি বেশি বাস্তব অভিজ্ঞতা দেয়। কারণ এতে ডেটা, ব্যাপক ইন্টারঅ্যাকশন এবং সহযোগিতা থাকে, এবং বাস্তব দুনিয়ায় ব্যবহৃত সামগ্রীর অনুকরণ করে<ref name=":372" />। প্রযুক্তির মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা থেকে আরও বেশি উপকার পায়। কারণ এতে জ্ঞান অনুসন্ধানে স্বায়ত্তশাসন এবং দলের সদস্যদের সঙ্গে সংযোগ তৈরি হয়। শিক্ষার্থীরা সৃজনশীল হয়। কারণ তাদের প্রকৃত সমস্যার জন্য নতুন নতুন সমাধান বের করতে হয়। উদাহরণস্বরূপ, হাং ও হোয়াং-এর মতে<ref>Hung, C.-M., Hwang, G.-J., & Huang, I. (2012). A Project-based Digital Storytelling Approach for Improving Students' Learning Motivation, Problem-Solving Competence and Learning Achievement. ''Educational Technology & Society'', 15 (4), 368–379. </ref>, প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা-এর আওতায় ডিজিটাল স্টোরিটেলিং ব্যবহার করে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গ্লোবাল ওয়ার্মিং বিষয়ে একটি নির্দিষ্ট প্রশ্নের উত্তর খোঁজার জন্য ছবি সংগ্রহ করার কাজ পরীক্ষার ফলাফলে তাৎপর্যপূর্ণ উন্নতি ঘটায় (এসডি ০.৬৪)। শিক্ষার্থীদের জ্ঞান খুঁজে বের করতে সাধারণত বিভিন্ন বিষয়ে পেরিয়ে যেতে হয়, ফলে তারা বহুমাত্রিক জ্ঞান ব্যবহার করে সমস্যার সমাধান তৈরি করে।
=== প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা বাস্তবায়নে শিক্ষকদের প্রাপ্ত চ্যালেঞ্জ ===
এই ধরনের শিক্ষণ পদ্ধতির বিরুদ্ধে প্রধান অভিযোগ হলো, প্রকল্পটি অগোছালো হয়ে যেতে পারে এবং সমস্যা সমাধানের জন্য যথাযথ শ্রেণিকক্ষ সময় নাও থাকতে পারে। অনেক শিক্ষকের মধ্যে প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা উপেক্ষিত হয় কারণ তারা এটি প্রয়োগ করার জন্য প্রশিক্ষণ বা প্রাসঙ্গিক জ্ঞান পায় না। প্রযুক্তির মাধ্যমে কার্যকর মূল্যায়নের জন্য অতিরিক্ত ব্যয় শিক্ষকদের নিরুৎসাহিত করে<ref name=":42">Efstratia, Douladeli. (2014). Experiential education through project based learning. ''Procedia – Social and Behavioral Sciences''. 152, 1256-1260.</ref>। সমালোচকদের মতে, এই তথ্যগুলো বক্তৃতাভিত্তিক পদ্ধতিতেও প্রদান করা যায় এবং ফলাফল ততটাই কার্যকর হতে পারে। এছাড়া, শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষে সময় নষ্ট করতে পারে এবং যদি তারা ক্রমাগত প্রকল্প ও শিক্ষার প্রতি মনোযোগ না দেয়, তবে প্রকল্পটি সফল হবে না। প্রচলিত পদ্ধতিতে শিক্ষা প্রদানকারী শিক্ষকরা প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা-কে চ্যালেঞ্জিং মনে করেন। কারণ এতে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংযোগ রক্ষা এবং সময় ব্যবস্থাপনা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে—যা সকল শিক্ষকের জন্য সহজ নয়<ref name=":42" />। ব্লুমেনফেল্ড প্রমুখ (১৯৯৮) বলেন প্রকৃত সফলতা তখনই আসে, যখন প্রকল্পটি একটি সংগঠিত কাঠামোর মধ্যে হয়। এখানে শিক্ষক মডেলিং, উদাহরণ, কৌশল, নির্দেশিকা প্রদান, কার্যক্রম চলাকালীন প্রতিক্রিয়া এবং কাজ সংশোধনের সুযোগ দেন<ref name=":492" />।
=== শিক্ষার্থীদের সমালোচনামূলক চিন্তনের মাধ্যমে খাঁটি ফলাফলের প্রয়োজন ===
[[চিত্র:Framework_for_21st_Century_Learning.jpg|থাম্ব|একবিংশ শতাব্দীর শিক্ষার কাঠামো]]
প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা বিভিন্ন বিষয়ে প্রযোজ্য, বিশেষ করে একবিংশ শতকের শিক্ষার পুনঃসংজ্ঞায়ন (বিভিন্ন স্তরের, প্রযুক্তিনির্ভর, সহযোগিতামূলক, আন্তঃবিষয়ক) প্রেক্ষাপটে। STEM - Science, Technology, Engineering, Mathematics (বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল, গণিত) একবিংশ শতকের এমন একটি শিক্ষা ক্ষেত্র যেখানে প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা প্রাকৃতিকভাবে বিভিন্ন বিষয়ের মধ্যে সেতুবন্ধন গঠন করে। STEM-এর মূল উদ্দেশ্য হলো মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার চ্যালেঞ্জ এবং প্রকৃত জীবনের দলভিত্তিক জটিল সমস্যা সমাধানে প্রস্তুত করা। স্বাস্থ্য, প্রকৌশল, কম্পিউটার নকশা এবং শিক্ষা সহ অনেক পেশাগত ক্ষেত্র প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা থেকে উপকৃত হতে পারে।
প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জ্ঞান সম্প্রসারণ এবং জটিল পরিস্থিতিতে সফলতা অর্জনের সুযোগ দেয়<ref name=":43">Capraro, R. M., Capraro, M. M., & Morgan, J. (2013). STEM Project-Based Learning: An Integrated Science, Technology, Engineering, and Mathematics (STEM) Approach (2nd Edition). New York, NY: Sense. </ref>। এ ছাড়াও, শিক্ষার্থীরা নিজের শক্তি ও দুর্বলতা সম্পর্কে গভীর উপলব্ধি গড়ে তোলে<ref name=":43" />। ফলাফল হিসেবে একজন শিক্ষার্থী গড়ে ওঠে যে চিন্তাশীল, বিশ্লেষণধর্মী এবং বাস্তব পরিস্থিতিতে তা প্রয়োগে সক্ষম। শিক্ষার্থীর তৈরি চূড়ান্ত পণ্য একটি বাস্তবিক ফলাফল প্রদান করে। এটি দায়িত্বশীলতা এবং প্রকল্পের নির্দেশনা ও সীমাবদ্ধতাকে মান্য করে<ref name=":43" />।
শিক্ষার্থীরা নির্দিষ্ট ফলাফলের দিকে মনোযোগ দেয়, কাজের গণ্ডি বোঝে এবং একটি কার্যকর উপস্থাপনযোগ্য সামগ্রী তৈরি করে। এর মাধ্যমে তারা উচ্চ-প্রযুক্তি, দ্রুতগামী কর্মপরিবেশে কাজ করতে প্রস্তুত হয় যেখানে উদ্ভাবন, সহযোগিতা এবং ফলাফলভিত্তিক কার্যসম্পাদন অপরিহার্য।
প্রযুক্তি এমন একটি ক্ষেত্র যেখানে প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা বাস্তব প্রয়োগে দক্ষতা গড়ে তোলে, ফলে নতুন প্রযুক্তির দ্বারা প্রদত্ত জ্ঞানীয় সরঞ্জামগুলো প্রকল্পে অপরিহার্য হলে তা কার্যকর প্রমাণিত হয়<ref name=":482" />। উদাহরণস্বরূপ, যেসব কম্পিউটার নকশাকাররা পূর্বে থেকে কিছু জ্ঞান রাখেন তারা হয়তো অপারেটিং সিস্টেম ট্রাবলশুট করতে পারেন, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে বিষয়বস্তু কিভাবে একত্রে কাজ করে তা বোঝেন না এবং তাদের দক্ষতা সম্পর্কে ভুল ধারণা থাকে<ref>Gary, Kevin. (2013), Project-Based Learning. ''Computer.'' (Vol 48:9). Tempe: Arizona State. </ref>।
== প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষার একটি উপশ্রেণী হিসেবে নকশা-থিংকিং ==
=== বাস্তব জীবনের সমস্যার সমাধানে ব্যবহারিক নকশার প্রক্রিয়া ব্যবহার ===
[[চিত্র:Design_thinking.png|থাম্ব|নকশা চিন্তনে শিক্ষার্থীকে একটি নির্দিষ্ট কাঠামোগত প্রক্রিয়ার মধ্যে কাজ করে একটি নকশা চ্যালেঞ্জ সমাধান করতে হয়]]
''[[চিন্তন ও নির্দেশনা/সমস্যা সমাধান, সমালোচনামূলক চিন্তন ও যুক্তি#glos Design Thinking|নকশা চিন্তন]]'' হলো একটি শিক্ষাদান পদ্ধতি। এটি প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষার একটি শাখা হিসেবে চ্যালেঞ্জভিত্তিক সমস্যা সমাধানের কন্সট্রাকশনিস্ট পদ্ধতিতে শেখানোর উপর ভিত্তি করে তৈরি। এটি এমন একটি শাখার সমন্বয় হিসেবে বোঝা উচিত, যেগুলোর জ্ঞানচর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে নকশা<ref name=":44">Cross, N. (2007). ''Designerly ways of knowing''. Basel, Switzerland: Birkha¨user.</ref>।
নকশা চিন্তনের একটি উদাহরণ হতে পারে, যখন শিক্ষার্থীরা বাস্তব জীবনের কোনো সমস্যার সমাধান খুঁজছে। তবে প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষার চেয়ে এটি একটু ভিন্ন; নকশা চিন্তন শিক্ষার্থীদেরকে একটি নির্দিষ্ট কাঠামোগত প্রক্রিয়ার মধ্যে থেকেই একটি ব্যবহারিক সমাধান তৈরি করতে বলে (চিত্র ৩), যেমন—একটি গ্রামে নিরাপদ পানীয় পানি পৌঁছে দেওয়ার উপায় খুঁজে বের করা। নকশাকাররা সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক দিকগুলো বিবেচনা করবে, তবে তারা এমন একটি কার্যকর প্রোটোটাইপ তৈরি করবে যা বাজারে আনা সম্ভব। ফলে একটি পানির সরবরাহ ব্যবস্থা তৈরি করা যেতে পারে। এটি স্থানীয় উপকরণ, অর্থায়ন এবং নীতিমালার সীমার মধ্যে থেকে কাজ করবে।
এই পদ্ধতিতে সহানুভূতি, সমস্যা সংজ্ঞায়ন, ধারণা তৈরি, প্রোটোটাইপ এবং পরীক্ষা — এই মূলনীতি অনুসরণ করে নকশাের চ্যালেঞ্জ পূরণ করা হয়। এখানে একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য (সমাধান) নিয়ে শুরু করে, নকশার মাধ্যমে সৃজনশীল এবং ব্যবহারিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের ওপর জোর দিয়ে ভবিষ্যতের উন্নত ফলাফল অর্জনের চেষ্টা করা হয়। এটি এমন এক ধরণের চিন্তা প্রক্রিয়া। এখানে সমস্যার সূক্ষ্ম দিকগুলো বিশ্লেষণ করে গোপন উপাদানগুলো খুঁজে বের করা হয় একটি কার্যকর সমাধানের জন্য। অর্জিত লক্ষ্য তখন পরবর্তী লক্ষ্য নির্ধারণ ও সমস্যা সমাধানের জন্য প্রাথমিক ভিত্তি হিসেবে কাজ করে<ref name=":44" />।
[[চিত্র:DesignThinking.ogv|থাম্ব|নকশা চিন্তন - ''শিশুদের ব্যায়ামে উৎসাহ দিতে একটি মুভমেন্ট সেন্সর ডিভাইস নকশা'' করার উদাহরণ]]
এই ধরণের শিক্ষাগত পদ্ধতির ভিত্তি হলো, আধুনিক বিশ্ব আসলে কৃত্রিম গঠনে পূর্ণ, এবং আমাদের সভ্যতা ঐতিহাসিকভাবে এই ধরনের কৃত্রিম জিনিসের ওপর নির্ভর করে প্রযুক্তিগত অগ্রগতি অর্জন করেছে। নকশা চিন্তনের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা হারবার্ট সাইমন বলেন, আজকের শিক্ষার্থীদের ঘেরা বিশ্ব প্রাকৃতিক জগতের চেয়ে অনেক বেশি কৃত্রিম<ref>Simon, H. A. (1996). ''The sciences of the artificial''. Cambridge, MA: MIT Press.</ref>। নকশা চিন্তনের চ্যালেঞ্জ হলো শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল চিন্তাভাবনার ক্ষমতা বাড়িয়ে উদ্ভাবনী দক্ষতা গড়ে তোলা<ref>Aflatoony, Leila & Ron Wakkary, (2015). ''Thoughtful Thinkers: Secondary Schooler’s Learning about Design Thinking.'' Simon Fraser University: Surrey, BC.</ref>।
নকশা চিন্তন একটি টুল হিসেবে ব্যবহৃত হয় প্রচলিত শিক্ষামূলক প্রকল্পগুলোকে প্রকল্প ভিত্তিক চিন্তার কাঠামোয় রূপান্তর করতে। ভ্যান মেরিয়েনবোয়ার (২০০৪) পুরো কাজ অনুশীলনের জন্য নকশা শেখাকে একটি কাঠামো হিসেবে দেখেছেন। এটি শিক্ষার্থীদের জন্য অন্তর্নিহিত জ্ঞানীয় চাপ কমায় এবং তারা সহজ উদাহরণের মাধ্যমে অনুশীলন করতে পারে<ref name=":402" />। এজন্যই নকশা চিন্তন বর্তমানে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। কারণ এটি শিক্ষার্থীর জানা ও শেখার মধ্যে সেতুবন্ধন গড়ে তোলে যা একবিংশ শতাব্দীর দক্ষতা অর্জনের প্রেক্ষাপটে গুরুত্বপূর্ণ। এই প্রক্রিয়ার একটি আরেকটি উদাহরণ হলো এমন একটি পণ্য নকশা করা। এটি শিশুদের শারীরিক কার্যকলাপ বাড়াতে সহায়তা করবে (উপরে উল্লিখিত ভিডিওটি দেখুন)। নিচে নকশা চিন্তনের কাঠামো ব্যবহার করে তা ব্যাখ্যা করা হয়েছে:
{| border="1"
|+'<nowiki/>'''''নকশা চিন্তনের উদাহরণ - শিশুদের ব্যায়ামে উৎসাহ দিতে একটি মুভমেন্ট সেন্সর ডিভাইস তৈরি''''''
!নকশা ধাপ
!ফলাফল
|-
|[[চিত্র:Empathy_-_Design_Thinking.png|কেন্দ্র|ফ্রেমহীন|113x113পিক্সেল]]
|'''মানুষদের থেকে শেখা''' - "কিভাবে একটি মুভমেন্ট সেন্সর ডিভাইস ব্যবহারে আগ্রহ সৃষ্টি করা যায়?" যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে শিশুদের তাদের পছন্দ, অভ্যাস, বিরক্তির কারণ জানাতে বলা হয়। গড়পড়তা শিশুদের পাশাপাশি অতিমাত্রায় সক্রিয় এবং অতি নির্জীব শিশুদেরও সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়। এই চরমপন্থী শিশুরা সাধারণ শিশুদের চাহিদা আরও ভালোভাবে ব্যাখ্যা করতে সক্ষম।
|-
|[[চিত্র:Define_-_Design_Thinking.png|কেন্দ্র|ফ্রেমহীন|111x111পিক্সেল]]
|'''ধরন খোঁজা''' - সাক্ষাৎকারের ফলাফল পোস্ট-ইট নোটে লিখে সংগঠিত করা হয়। এমন ধরন খোঁজা হয় যা সুযোগ তৈরি করে। কেউ কেউ বলেছে তারা খেলাধুলার সময় সামাজিক হতে চায়, আবার কেউ বলেছে তারা ব্যায়ামের সময় অন্যদের সাথে কথা বলতে পছন্দ করে।
|-
|[[চিত্র:Ideate_-_Design_Thinking.png|কেন্দ্র|ফ্রেমহীন|111x111পিক্সেল]]
|'''নকশা নীতিমালা''' - গবেষণার মাধ্যমে কিছু নির্দিষ্ট নকশা নীতিমালা তৈরি করা হয়েছে, যেমন—"সব সময় সামাজিক মিথস্ক্রিয়া সহজ করা", "প্রথমেই পুরস্কার বৃদ্ধি করে অংশগ্রহণ বাড়ানো", "শুধু শিশু নয়, পারিবারিকভাবে সক্রিয় হওয়ার প্রেরণা দেওয়া", "বাড়িতে থাকা শিশুদের প্রতি বিশেষ নজর দেওয়া"। এই নীতিমালাগুলো প্রোটোটাইপ নকশাের দিকনির্দেশনা হিসেবে কাজ করে।
|-
|[[চিত্র:Prototype_-_Design_Thinking.png|কেন্দ্র|ফ্রেমহীন|111x111পিক্সেল]]
|'''বাস্তব রূপ দেওয়া''' - এই নীতিমালাগুলো কিভাবে একটি ব্যবহারযোগ্য পণ্যে রূপান্তর করা যায়? এই নীতিমালার ভিত্তিতে প্রোটোটাইপ তৈরি করা হয়।
|-
|[[চিত্র:Test_-_Design_Thinking.png|কেন্দ্র|ফ্রেমহীন|111x111পিক্সেল]]
|'''পুনরাবৃত্তি করা''' - কাগজ-কলমে ইলেকট্রনিক ডিভাইসের ইন্টারফেসের মকআপ তৈরি করা হয় এবং শক্ত কাগজ ও টেপ ব্যবহার করে যন্ত্র তৈরি করা হয়। শিশুদের জন্য ডিজিটাল ও বাস্তব মডেল তৈরি করে তা পরীক্ষা ও মতামত নেওয়া হয়। চূড়ান্ত ফলাফল হয় একটি পরিশোধিত মডেল। এটি এই প্রতিক্রিয়ার ভিত্তিতে তৈরি।
|}
=== কৃত্রিম জগতে নকশা নিয়ে সমালোচনামূলক চিন্তা ===
নকশা চিন্তনের ইতিহাস নির্দিষ্ট কিছু পণ্ডিতের মাধ্যমে চিহ্নিত করা যায়, যেমন হারবার্ট সাইমন, ডোনাল্ড শন এবং নাইজেল ক্রস। সাইমন ১৯৬৯ সালে শিক্ষার জগতে পেশাগত ফাঁক নিয়ে তার গবেষণা প্রকাশ করেন। তিনি লক্ষ্য করেন, প্রাকৃতিক বিজ্ঞানের মতো, কৃত্রিম জগতে জটিল বিষয়গুলোর সরলতা উদঘাটন করাও বিজ্ঞানীদের মতোই প্রয়োজন<ref name=":45">Koh, Joyce Hwee Ling, Chin Sing Chai, Benjamin Wong, & Huang-Yao Hong. (2015) ''Design Thinking for Education.'' Singapore: Springer Science + Business Media.</ref>। এর মধ্যে শুধু বিজ্ঞান নয়, কলা ও মানববিদ্যার প্রক্রিয়াও অন্তর্ভুক্ত হওয়া উচিত। কারণ সঙ্গীতের মধ্যেও গণিতের মতো কাঠামোগত প্যাটার্ন আছে (সাইমন, ১৩৬)। তাই সবার সৃজনশীল নকশা একটি সাধারণ ভাষা ও তার প্রয়োগের ওপর ভিত্তি করে।
ডোনাল্ড শন, যিনি এমআইটি-তে আরবান প্ল্যানিং ও শিক্ষার ফোর্ড অধ্যাপক ছিলেন, নকশা চিন্তন-কে একটি শিল্প এবং অন্তর্জ্ঞানভিত্তিক সমস্যা সমাধানের প্রক্রিয়া হিসেবে বর্ণনা করেন<ref name=":46">Schon, D. A. (1983). ''The reflective practitioner: How professionals think in action'' (Vol. 5126). New York, NY: Basic Books.</ref>। শন উপলব্ধি করেন, নকশা প্রক্রিয়ার একটি অংশ হলো সেই “ক্রিয়ার মধ্যে প্রতিফলন” যা সমালোচনামূলক চিন্তা ও ধারণা তৈরির সময় আবশ্যক। সমস্যা সমাধানের সমাধান কেবল পাঠ্যবইয়ে থাকে না; বরং নকশাকারদের নিজস্ব প্রেক্ষাপট অনুধাবনের ক্ষমতার মধ্যেই তা নিহিত থাকে<ref name=":45" />।
ক্রস এই পূর্ববর্তী ধারণাগুলোকে শিক্ষার প্যাডাগজিতে রূপান্তর করেন এবং বলেন নকশা চিন্তন বিজ্ঞানের পাশাপাশি মানববিদ্যায়ও সাধারণ শিক্ষার অংশ হওয়া উচিত<ref name=":44" />। তিনি মনে করেন, শিক্ষার্থীরা যদি এই চিন্তার পদ্ধতি ব্যবহার করে উৎসাহিত হয়, তবে তাদের নন-ভার্বাল চিন্তা ও যোগাযোগ দক্ষতা উন্নত হবে<ref name=":44" />।
=== বিঘ্ন ঘটানো অর্জন হিসেবে সমালোচনামূলক চিন্তা ===
নকশা চিন্তন একটি নির্দিষ্ট প্রবাহ অনুসরণ করে — তাত্ত্বিক থেকে ব্যবহারিক দিকে। এটি কার্যকর শিক্ষার্থী সমাধান উদ্ভাবনের জন্য নির্দেশিত শিক্ষার ওপর নির্ভর করে এবং শুধু অনুসন্ধানের ওপর নয়। কারণ কেবল অনুসন্ধান দীর্ঘমেয়াদী স্মৃতির সীমা অতিক্রম করতে পারে না বলে মনে করা হয়<ref name=":44" />। নকশা চিন্তন শিক্ষার্থীকে তাদের প্রক্রিয়া সম্পর্কে মেটা-অ্যানালাইসিস করতে বাধ্য করে। সৃজনশীলতা (উদ্ভাবনী চিন্তা) নকশা চিন্তনে স্পষ্ট হয়, যখন এটি স্মৃতি উদ্দীপনায় মনোযোগ বিভাজন এবং মনোযোগ কেন্দ্রীকরণের মাধ্যমে উদ্ভাসিত হয়<ref name=":44" />। হু প্রমুখ (২০১০) একটি গবেষণায় চার বছরের একটি নির্দিষ্ট পাঠদান পদ্ধতিতে প্রাথমিক শিক্ষার্থীদেরকে যৌক্তিক চিন্তার মাধ্যমে নকশা প্রকল্পের জন্য ‘ডিসরাপটেড থিংকিং’ প্রয়োগ করতে শেখান। ফলাফল থেকে দেখা যায় যে তাদের চিন্তার ক্ষমতা (এসডি .78) বৃদ্ধি পায় এবং এটি দীর্ঘমেয়াদে শিক্ষাগত সাফল্য বৃদ্ধি করে<ref>Hu, Weiping, Philip Adey, Xiaojuan Jia, Jia Liu, Lei Zhang, Jing Li, Xiaomei Dong. (2010). Effects of a “Learn to Think” Intervention programme on primary school students. ''British Journal of Educational Psychology''. 81(4) 537-557.</ref>। এটি সৃজনশীল প্রক্রিয়ায় বিচ্ছিন্ন ও সমন্বিত চিন্তার ব্যবহার প্রমাণ করে। এটি দীর্ঘমেয়াদি স্মৃতির সঙ্গে সম্পর্কিত উচ্চ পর্যায়ের চিন্তার ইঙ্গিত দেয়। নকশা চিন্তন স্পষ্টভাবে শিক্ষার্থীদের এই ক্ষমতা অর্জনে সহায়তা করে।
=== নকশাকাররা কি বৈজ্ঞানিক নন? ===
নকশা চিন্তনের সমালোচকরা বলেন, নকশা নিজেই কোনো বিজ্ঞান নয় কিংবা কোনো জ্ঞানীয় শেখার পদ্ধতি নয়; এটি অন্তর্জ্ঞানভিত্তিক হওয়ায় অবৈজ্ঞানিক কাজ হিসেবে বিবেচিত। শিক্ষার্থীরা এখানে প্রকৃত জ্ঞানীয় অনুশীলনের (যেমন—বৈজ্ঞানিক যুক্তি প্রয়োগ) মধ্যে থাকে না। তবে ক্রস-এর বিশ্বাস হলো নকশা নিজেই একটি বিজ্ঞান। এটি নিয়মিত ও নির্ভরযোগ্য পদ্ধতিতে অধ্যয়ন করা যায়<ref name=":44" />। এছাড়াও শন বলেন, নকশা চিন্তনে তত্ত্ব ও অনুশীলনের মধ্যে সংযোগ রয়েছে। এর ফলে একটি তাত্ত্বিক ধারণা বাস্তব প্রোটোটাইপে রূপান্তরিত হয়<ref name=":46" />। নকশা চিন্তন হলো একটি বৈজ্ঞানিক জ্ঞানীয় অনুশীলন। এর মধ্যে রয়েছে প্রতিফলনমূলক অনুশীলন ও মেটা-চিন্তা। এই পদ্ধতি সেই প্রাকৃতিক ব্যবধান পূরণ করে। এটি তত্ত্ব ও বাস্তবতার মধ্যে দেখা যায়, এবং শিক্ষার্থীকে প্রচলিত পাঠ্যবইয়ের সীমা অতিক্রম করে নতুন কিছু করার সুযোগ দেয়। নকশা চিন্তন ক্লায়েন্ট বা বিশেষজ্ঞদের অনুমানভিত্তিক প্রতিক্রিয়ার পরিবর্তে এমন ফর্মে রূপ নেয় যা অপ্রত্যাশিত হতে পারে<ref name=":46" />।
=== একবিংশ শতাব্দীর শিক্ষার্থী ও বিচিত্র চিন্তার প্রয়োজন ===
নকশা চিন্তন একবিংশ শতাব্দীর প্রযুক্তি-ভিত্তিক দক্ষতার জন্য উপযুক্ত। এটি মূলত প্রযুক্তির প্রয়োগের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল ও সমালোচনামূলক দক্ষতা গড়ে তুলতে সহায়তা করে। নকশা হলো একটি আলাদা ধরনের চিন্তা। এটি একটি নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য পূরণের জন্য গুণগত সম্পর্ক তৈরি করে<ref name=":47">Wells, Alastair. (2013). The importance of design thinking for technological literacy: a phenomenological perspective''.'' ''International Journal Technol Des Educ.'' (23:623-636). DOI 10.1007/s10798-012-9207-7.</ref>। আরও স্পষ্ট করে বললে, এক বিশ্ব যা দ্রুত প্রযুক্তিনির্ভর হয়ে উঠছে, নকশা চিন্তন শিক্ষার্থীদের ‘অনুভবে নির্ভর করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ’, সূক্ষ্মতা বোঝার ক্ষমতা এবং তাদের কাজের পরিণতি মূল্যায়নের সক্ষমতা তৈরি করে<ref name=":47" />। নকশাকারকে প্রচলিত সমাধানের বাইরে চিন্তা করতে হয় এবং বর্তমান প্রযুক্তি ব্যবহার করতে জানতে হয়।
সুতরাং, নকশা চিন্তন ব্যবহারকারী শিক্ষার্থীরা প্রযুক্তির সমস্ত রূপকে সম্ভাব্য সমাধানের একটি প্রয়োগ হিসেবে বিবেচনা করে এগিয়ে যাচ্ছে। প্রোটোটাইপ তৈরি কেবল হার্ডওয়্যার প্রয়োগেই সীমাবদ্ধ নয়, এর মধ্যে সফটওয়্যার ব্যবহারের কথাও অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। অগমেন্টেড রিয়ালিটি এবং ভার্চুয়াল রিয়ালিটির মতো সর্বাধুনিক প্রযুক্তিও নকশা চ্যালেঞ্জের সমাধান হিসেবে গ্রহণযোগ্য হতে পারে।
ফলে, নকশা চিন্তনের নির্দিষ্ট প্রয়োগ সেইসব অধ্যয়নের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, যেগুলো প্রযুক্তিগত অভিযোজন এবং উদ্ভাবনের প্রয়োজন। বিশেষভাবে, K-12 BC নতুন পাঠ্যক্রম (২০১৬) তে ফলিত নকশা, দক্ষতা এবং প্রযুক্তির উপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। এখানে প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে তাদের পুরো শিক্ষাজীবন জুড়ে নকশা চিন্তনের জ্ঞান থাকা এবং প্রযুক্তির অগ্রগতির জন্য এর প্রয়োগ থাকা জরুরি। সুতরাং, নকশা চিন্তন শিক্ষার্থীদের সমালোচনামূলক চিন্তার প্রক্রিয়ায় সম্পৃক্ত করার জন্য একটি প্রাসঙ্গিক ও অপরিহার্য উপাদান।
= যুক্তি =
যুক্তি প্রদান একটি প্রক্রিয়া। এর মাধ্যমে কোনো ধারণার পক্ষে বা বিপক্ষে যুক্তি সংগঠিত ও উপস্থাপন করা হয়; অর্থাৎ এটি যুক্তি তৈরি ও প্রদর্শনের একটি কাজ। স্পষ্ট যোগাযোগের পাশাপাশি সমালোচনামূলক চিন্তা একটি ভাল যুক্তির উপাদান। এটি এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে একজন ব্যক্তি যুক্তিসঙ্গতভাবে সমস্যা, বিষয় ও বিরোধের সমাধান করে এবং প্রশ্নগুলোর সমাধান খোঁজে <ref name="jonassen">Jonassen, D.H., & Kim, B. (2010). Arguing to learn ad learning to argue: design justifications and guidelines. Education Technology & Research Development, 58(4), 439-457. DOI 10.1007/s11423-009-9143-8.</ref>।
যুক্তি প্রদানের চর্চায় দুটি মাত্রা রয়েছে: সংলাপ এবং কাঠামো <ref name="macagno">Macagno, F., Mayweg-Paus, W., & Kuhn, D. (2014). Argumentation theory in Education Studies: Coding and Improving Students’ Argumentative Strategies. Topoi, 34, 523-537.</ref>। যুক্তিতর্কপূর্ণ আলোচনায় সংলাপ নির্দিষ্ট ভাষিক কার্যক্রমের উপর ভিত্তি করে – যেমন গ্রহণ, প্রত্যাখ্যান, খণ্ডন ইত্যাদি। এটি বক্তার অবস্থানকে এগিয়ে নিতে সাহায্য করে। একটি যুক্তির কাঠামো আলোচনার বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গিকে আলাদা করে এবং বক্তারা যেসব অবস্থানের পক্ষে যুক্তি দিচ্ছেন তা স্পষ্ট করে <ref name="macagno" />।
== শিক্ষকেরা প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষার বাস্তবায়নে চ্যালেঞ্জ অনুভব করেন ==
এই ধরনের শিক্ষার বিরুদ্ধে একটি প্রধান যুক্তি হলো প্রকল্পটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে পড়তে পারে এবং শ্রেণিকক্ষে যথাযথ সময় না পাওয়ায় কার্যকর সমাধান তৈরির সুযোগ নাও থাকতে পারে। শিক্ষকেরা নিজেরাই প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষারকে গুরুত্ব দেন না কারণ এর বাস্তবায়নে তাদের প্রশিক্ষণ ও প্রয়োজনীয় পটভূমিগত জ্ঞান নেই। প্রযুক্তির মাধ্যমে কার্যকর মূল্যায়ন দিতে আর্থিক সীমাবদ্ধতাও শিক্ষকদের নিরুৎসাহিত করে (এফস্ট্রাটিয়া, ২০১৪, পৃষ্ঠা ১২৫৮)। শিক্ষার্থীরা যে তথ্য অর্জন করে তা বক্তৃতাভিত্তিক শিক্ষা দিয়েও প্রদান করা যায় এবং সমালোচকদের মতে তেমনটাই কার্যকর। তদুপরি, ঝুঁকি হলো শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষে সময় অপচয় করে এবং যদি তারা নিয়মিতভাবে কাজ ও শিক্ষাসংক্রান্ত বিষয়ে মনোযোগী না থাকে, তবে প্রকল্পটি সফল হবে না। প্রচলিত শিক্ষাপদ্ধতির শিক্ষকেরা মনে করেন, প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা শিক্ষার্থীদের বিষয়বস্তুর সাথে সংযোগ রক্ষা এবং সময় ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব শিক্ষকের উপর ফেলে। এটি সকল শিক্ষক রপ্ত করতে পারেন, এমন কোনো শিক্ষাদান পদ্ধতি নয় যা (এফস্ট্রাটিয়া, ২০১৪, পৃষ্ঠা ১২৫৮)।
== সমালোচনামূলক চিন্তার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের আসল ফলাফলের প্রয়োজন ==
প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা বিভিন্ন বিষয়ে প্রযোজ্য কারণ এর রয়েছে শিক্ষায় বহু প্রয়োগ এবং এটি একবিংশ শতাব্দীর শিক্ষার পুনঃসংজ্ঞায়নের (বিভিন্নীকরণ, প্রযুক্তিনির্ভরতা, সহযোগিতা, আন্তঃবিষয়কতা) সঙ্গে বিশেষভাবে প্রাসঙ্গিক। STEM (বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল, গণিত) হলো এমন একটি একবিংশ শতাব্দীর শিক্ষা পদ্ধতি যা প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা ব্যবহারকারী শিক্ষকদের কাছ থেকে উপকৃত হয় কারণ এটি স্বাভাবিকভাবেই বিভিন্ন ক্ষেত্রের মধ্যে সেতুবন্ধ তৈরি করে। STEM এর লক্ষ্য হলো মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার জন্য প্রস্তুত করা এবং তারা যেন বাস্তব জীবনের কাজের জগতে দলবদ্ধভাবে জটিল সমস্যা সমাধান করতে সক্ষম হয়। চিকিৎসা, প্রকৌশল, কম্পিউটার নকশা ও শিক্ষা সহ অনেক সম্ভাব্য পেশা প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা থেকে উপকৃত হতে পারে।
প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের তাদের জ্ঞান বিস্তারের সুযোগ দেয় এবং উচ্চ-চাপের পরিস্থিতিতে সাফল্য অর্জনের পথ তৈরি করে (ক্যাপ্রারো, প্রমুখ, ২০১৩, পৃষ্ঠা ২)। উপরন্তু, এই শিক্ষার্থীরাই তাদের শক্তি ও সীমাবদ্ধতার প্রতি আত্মবিশ্লেষণমূলক দৃষ্টিভঙ্গি অর্জন করে (ক্যাপ্রারো, প্রমুখ, ২০১৩, পৃষ্ঠা ২)। ফলাফল হলো এমন এক শিক্ষার্থী যে সমালোচনামূলক চিন্তায় দক্ষ এবং বাস্তব পরিস্থিতিতে তা প্রয়োগ করার সুযোগ পেয়েছে। উপরন্তু, একটি সমাপ্ত পণ্য নির্মাণ শেখার আসল ফলাফলের উপস্থাপনার একটি বাস্তব প্রত্যাশা। এই পণ্যের ফলাফল দায়বদ্ধতা দাবি করে এবং শিক্ষকের প্রত্যাশা ও প্রকল্পের সীমাবদ্ধতার প্রতি শিক্ষার্থীর অনুগত্য দেখায় (ক্যাপ্রারো, প্রমুখ, ২০১৩, পৃষ্ঠা ২)। শিক্ষার্থী নির্দিষ্ট ফলাফলের উপর মনোযোগ দেয়, কাজের পরিসীমা বোঝে এবং একটি কার্যকর বস্তু উপস্থাপন করে। এর তাৎপর্য হলো শিক্ষার্থীরা উচ্চ-প্রযুক্তিসম্পন্ন, দ্রুতগামী কর্মপরিবেশের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকবে যেখানে উদ্ভাবন, সহযোগিতা এবং ফলাফলের ভিত্তিতে তৈরি পণ্যই সফলতার মূল।
প্রযুক্তি এমন একটি ক্ষেত্র যেখানে প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা ব্যবহার করে বাস্তব জগতে প্রয়োগযোগ্য দক্ষতা গড়ে তোলা যায়। উদাহরণস্বরূপ, কম্পিউটার সিস্টেম নকশাকাররা পূর্বের জ্ঞান থাকায় হয়তো একটি অপারেটিং সিস্টেমের ত্রুটি খুঁজে বের করতে পারেন, কিন্তু তারা সত্যিই বোঝেন না কিভাবে বিভিন্ন উপাদান একসাথে কাজ করে, ফলে তারা তাদের দক্ষতা নিয়ে ভুল আত্মবিশ্বাসে ভোগেন (গ্রে, ২০১৩, পৃষ্ঠা ১)।
== বিঘ্নকারী সাফল্য হিসেবে সমালোচনামূলক চিন্তা ==
নকশা চিন্তন একটি নির্দিষ্ট ধারা অনুসরণ করে যা তত্ত্ব থেকে বাস্তবে রূপান্তরিত হয়। এটি কার্যকর শিক্ষার্থী সমাধান প্রচারে নির্দেশিত শিক্ষার উপর নির্ভর করে এবং অনুসন্ধানের সীমা অতিক্রম করে কারণ অনেক গবেষক মনে করেন, শুধুমাত্র অনুসন্ধান কার্যকর নয় কারণ এটি দীর্ঘমেয়াদী স্মৃতির সীমা অতিক্রম করে (ল্যাজোন্ডার এবং হার্মসেন, ২০১৬, পৃষ্ঠা ২)। নকশা চিন্তন শিক্ষার্থীকে তাদের প্রক্রিয়ার উপর মেটা-অ্যানালাইসিস করতে উৎসাহিত করে। সৃজনশীলতা (উদ্ভাবনী চিন্তা) নকশা চিন্তনে স্পষ্ট হয়। এটি মনোযোগের বিস্তার এবং মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করার মাধ্যমে স্মৃতিকে উদ্দীপিত করে (গোল্ডস্মিট, ২০১৬, পৃষ্ঠা ১)। হু প্রমুখ (২০১০) একটি প্রক্রিয়া তৈরি করেন যাতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নির্দিষ্ট নকশা প্রকল্পের প্রতি যৌক্তিক সমালোচনামূলক চিন্তা প্রয়োগ করে, নির্দিষ্ট পাঠ পদ্ধতির মাধ্যমে চার বছরের সময়কালে। গবেষণার ফলাফল দেখায়, এই শিক্ষার্থীদের চিন্তার ক্ষমতা (এসডি .78) বৃদ্ধি পায় এবং এই প্রভাব দীর্ঘমেয়াদে অ্যাকাডেমিক সাফল্য বৃদ্ধিতে সহায়ক হয় (হু, প্রমুখ। ২০১০, পৃষ্ঠা ৫৫৪)। এটি সৃজনশীল প্রক্রিয়ায় বিচিত্র ও সঙ্কলিত চিন্তার ব্যবহার নির্দেশ করে এবং এই দুই ধরনের চিন্তা সৃজনশীলতায় গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করা হয়েছে (গোল্ডস্মিট, ২০১৬, পৃষ্ঠা ২)। এটি উচ্চ স্তরের চিন্তার প্রতিফলন এবং দীর্ঘমেয়াদী স্মৃতির সাথে সংশ্লিষ্ট। নকশা চিন্তন বিশেষভাবে শিক্ষার্থীদের উন্নয়নে সক্ষমতা প্রদর্শন করে।
== যুক্তি প্রদানের প্রক্রিয়া ==
=== যুক্তির স্তরসমূহ ===
মানসিক প্রক্রিয়া যা একজনকে যুক্তি তৈরি, বিশ্লেষণ ও মূল্যায়নে সক্ষম করে <ref name="horn">Hornikx, J., & Hahn, U. (2012). Reasoning and argumentation: Towards an integrated psychology of argumentation. Thinking & Reasoning, 18(3), 225-243. DOI: 10.1080/13546783.2012.674715.</ref>। এই স্তরগুলো এই অধ্যায়ে পরে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হবে।
{| class="wikitable"
|১. '''উৎপাদন'''
|কীভাবে কেউ একটি দৃষ্টিভঙ্গি, মতামত বা দাবির পক্ষে যুক্তি তৈরি করে।
|-
|২. '''বিশ্লেষণ'''
|প্রস্তাবিত যুক্তিগুলোর বৈধতা মূল্যায়ন।
|-
|৩. '''মূল্যায়ন'''
|একটি যুক্তির বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি অনুসন্ধান।
|}
== শিক্ষায় যুক্তি প্রদানের প্রভাব ==
যুক্তি প্রদান কেবল সমালোচনামূলক চিন্তা এর বিকাশকে প্রভাবিত করে না, বরং শিক্ষার অন্যান্য দিকেও প্রভাব ফেলে। উদাহরণস্বরূপ, একটি জুনিয়র হাই স্কুলের বিজ্ঞান শ্রেণিতে পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, শিক্ষার্থীরা যুক্তি প্রদানে অংশগ্রহণ করলে তারা তাদের পূর্বজ্ঞান ও অভিজ্ঞতার উপর নির্ভর করে <ref name="aufs">Aufschnaiter, C., Erduran, S., Osborne, J., & Simon, S. (2008). Arguing to learn and learning to argue: Case studies of how students' argumentation relates to their scientific knowledge. Journal of Research in Science Teaching, 45(1), 101-131. doi:10.1002/tea.20213</ref>। কেবল পূর্বজ্ঞান প্রয়োগই নয়, যুক্তি প্রদান শিক্ষার্থীদের জ্ঞানকে একত্রিত করতে এবং বিষয়টির উচ্চতর পর্যায়ে বোঝাপড়া বাড়াতে সাহায্য করে <ref name="aufs" />। এগুলো শিক্ষায় যুক্তি প্রদানের প্রভাবের কয়েকটি উদাহরণ মাত্র।
ভিডিও: শিক্ষায় যুক্তি: https://www.youtube.com/watch?v=YHm5xUZmCDg
= সমালোচনামূলক চিন্তা ও যুক্তির মধ্যে সম্পর্ক =
যুক্তি প্রদান ও সমালোচনামূলক চিন্তা শিক্ষাদানে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কযুক্ত বলে মনে হয়। অনেক গবেষণায় এই দুটি উপাদান একে অপরকে কিভাবে প্রভাবিত করে তা দেখানো হয়েছে। তথ্য উপাত্ত অনুযায়ী, যখন শিক্ষায় সমালোচনামূলক চিন্তা অন্তর্ভুক্ত করা হয়, তখন এটি শিক্ষার্থীদের যুক্তি প্রদানের ক্ষমতাকে প্রভাবিত করে <ref>Bensley, A., Crowe, D., Bernhardt, P., Buckner, C., & Allman, A. (2010). Teaching and assessing CT skills for argument analysis in psychology. Teaching of Psychology, 37(2), 91-96. doi:10.1080/00986281003626656</ref>। যেসব কার্যক্রমে সমালোচনামূলক চিন্তা এবং সৃজনশীল চিন্তা উভয়ের প্রয়োজন, সেগুলোকে যুক্তিকেন্দ্রিক হওয়া উচিত <ref>Glassner, A., & Schwarz, B. B. (2007). What stands and develops between creative and critical thinking? argumentation?. Thinking Skills and Creativity, 2(1), 10-18. doi:10.1016/j.tsc.2006.10.001</ref> এবং যুক্তি বিশ্লেষণ ও গল্প বলার মাধ্যমে সমালোচনামূলক চিন্তা উন্নত করা যায় <ref>Gold J., Holman D., & Thorpe R. (2002). The role of argument analysis and story telling in facilitating critical thinking. Management Learning, 33(3), 371-388. doi:10.1177/1350507602333005</ref>। অর্থাৎ, বলা যায় যে সমালোচনামূলক চিন্তা ও যুক্তি উভয়ই একে অপরের বিকাশকে প্রভাবিত করে এবং শিক্ষার ও জ্ঞানের অন্যান্য ক্ষেত্রেও এদের প্রভাব রয়েছে।
== সমালোচনামূলক চিন্তা কীভাবে যুক্তিকে উন্নত করে ==
সমালোচনামূলক চিন্তা এমন তথ্যের মূল্যায়নে সহায়তা করে যা একটি যুক্তি তৈরির জন্য প্রয়োজন। এটি প্রতিটি অবস্থানের বৈধতা যাচাইয়ে সাহায্য করে। এটি উৎসের বিশ্বাসযোগ্যতা মূল্যায়নে ব্যবহৃত হয় এবং বিষয়টি একাধিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বিশ্লেষণে সহায়তা করে।
সমালোচনামূলক চিন্তা এবং যুক্তির উপাদানগুলোর মধ্যে অনেক সাধারণ বৈশিষ্ট্য রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, একটি বিবৃতির পক্ষে ও বিপক্ষে প্রমাণ পর্যালোচনা করা এবং যেসব তথ্য সেই দাবিগুলোর ভিত্তি গঠন করে, সেগুলো পরীক্ষা করা — এ দুটি ক্ষেত্রই একটি সঠিক যুক্তি তৈরি এবং সমালোচনামূলক চিন্তার অংশ।
এই অংশে উল্লেখিত চারটি সমালোচনামূলক চিন্তা উপাদানের আলোকে সমালোচনামূলক চিন্তা কিভাবে যুক্তি প্রদানের ক্ষমতাকে প্রভাবিত করে, তা বিশ্লেষণ করা হবে। প্রথমত, ব্রুনিং প্রমুখ (২০১১) অনুসারে, জ্ঞানের উপাদান সমস্যার সমাধান প্রক্রিয়াকে সক্রিয়ভাবে প্রভাবিত করে <ref name="bruningrh">Bruning, R. H., Schraw, G. J., & Norby, M. M. (2011). Cognitive psychology and instruction (5th ed.) Pearson.</ref>। সুতরাং, শিক্ষার্থীদের যা নিয়ে তারা যুক্তি দিচ্ছে, সেই বিষয়ে যথাযথ জ্ঞানের ভিত্তি থাকা আবশ্যক। ভালোভাবে প্রতিষ্ঠিত তথ্য ব্যবহার করে নতুন তথ্যের বিশ্বাসযোগ্যতা বিশ্লেষণ করতে পারার ক্ষমতা সেই শিক্ষার্থীদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যারা তাদের যুক্তি প্রদানের দক্ষতা বাড়াতে চায়। দ্বিতীয় উপাদান হলো '''অনুমান'''। চেসেভার এবং সিমারি (২০০৭) তাদের যুক্তি নির্মাণ নিয়ে আলোচনায় যেমনটি উল্লেখ করেছেন, তথ্য থেকে নতুন সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর ক্ষেত্রে '''যুক্তিপূর্ণ অনুমান''' একটি অপরিহার্য উপাদান<ref>Chesñevar, I., & Simari, G. (2007). Modelling inference in argumentation through labelled deduction: Formalization and logical properties. Logica Universalis, 2007, Volume 1, Number 1, Page 93, 1(1), 93-124. doi:10.1007/s11787-006-0005-4</ref>
[[চিত্র:Reasoning.jpg|থাম্ব|উপসংহার ও অনুমান—উভয়ই সমালোচনামূলক চিন্তন এবং যুক্তিবিদ্যায় গুরুত্বপূর্ণ।]]
অর্থাৎ, পূর্বে প্রাপ্ত তথ্য থেকে সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর ক্ষমতা একটি যুক্তির উন্নয়ন এবং তা বিস্তারিতভাবে উপস্থাপনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। একইভাবে, '''অনুমানভিত্তিক চিন্তন'''। এটি সমালোচনামূলক চিন্তনের একটি অংশ, যুক্তির গঠনে গুরুত্বপূর্ণ। বার্নিং ও তার সহকর্মীদের মতে, বিদ্যমান তথ্য থেকে একটি সাধারণ সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতাসমালোচনামূলক চিন্তনপ্রক্রিয়ার একটি অপরিহার্য অংশ<ref name="bruningrh2" />। ওন্টান এবং প্লাজা (২০১৫) যুক্তি দেন,, অনুমান যোগাযোগের মাধ্যমে যুক্তি গঠনে ব্যবহৃত হতে পারে। তদুপরি, একটি দলের প্রতিটি সদস্যের দেওয়া তথ্য একত্র করে সাধারণ সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর প্রক্রিয়া দেখায়, অনুমান কীভাবে যুক্তিতে পারস্পরিক সহযোগিতাকে ফলপ্রসূ করতে পারে<ref>Ontañón, S., & Plaza, E. (2015). Coordinated inductive learning using argumentation-based communication. Autonomous Agents and Multi-Agent Systems, 29(2), 266-304. doi:10.1007/s10458-014-9256-2</ref>। তাই এটি স্পষ্ট যেসমালোচনামূলক চিন্তনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে অনুমান যুক্তি এবং সহযোগিতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।সমালোচনামূলক চিন্তনের শেষ উপাদান। এটি সম্ভবত যুক্তির সাথে সবচেয়ে বেশি সম্পর্কযুক্ত, সেটি হলো '''মূল্যায়ন'''। বার্নিং ও তার সহকর্মীরা মূল্যায়নের উপাদান হিসেবে বিশ্লেষণ, বিচার এবং পরিমাপের কথা বলেন। এই তিনটি উপাদান একটি সফল যুক্তি গঠনের জন্য অপরিহার্য <ref name="bruningrh2" />। হর্নিক্স এবং হ্যান (২০১২) যুক্তি গঠনের তিনটি মূল উপাদানের একটি কাঠামো প্রদান করেন। এটি বার্নিং ও তার সহকর্মীদের উল্লেখিতসমালোচনামূলক চিন্তনের উপাদানের সঙ্গে গভীরভাবে সম্পর্কযুক্ত<ref name="horn2" />।
=== উৎপাদন, বিশ্লেষণ ও মূল্যায়ন ===
হর্নিক্স এবং হ্যান তাদের গবেষণায় যুক্তি গঠনের যে তিনটি দিকের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন, তা হলো '''উৎপাদন''', '''বিশ্লেষণ''' এবং '''মূল্যায়ন'''<ref name="horn2" />। যুক্তি উৎপাদনেসমালোচনামূলক চিন্তনের মূল উপাদানগুলো ব্যবহৃত হয়; এর মধ্যে থাকে মূল্যায়ন, বিশ্লেষণ, বিচার এবং একজন যে যুক্তির ওপর দৃঢ় অবস্থান নিতে চান, সেটির যথার্থতা নির্ণয়। যুক্তির বিশ্লেষণ এবংসমালোচনামূলক চিন্তনবিশ্লেষণ একসাথে চলে। কারণ একটি সফল এবং যথার্থভাবে সমর্থিত যুক্তি গঠনে তথ্য ও মতামতের সমালোচনামূলক বিশ্লেষণ আবশ্যক। একইভাবে, মূল্যায়নও যুক্তি বিশ্লেষণে ব্যবহৃত হয় কারণ এটিসমালোচনামূলক চিন্তনথেকে উদ্ভূত। তথ্যের উৎস এবং নির্ভরযোগ্যতা যাচাই একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটিতে কেউ তথ্যপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। সমালোচনামূলক চিন্তনের মূল্যায়নের চূড়ান্ত দিক হলো মেটাকগনিশন, অর্থাৎ নিজের চিন্তা নিয়ে চিন্তা করা বা নিজস্ব চিন্তাকে মনিটর করা <ref name="bruningrh2" />। নিজের চিন্তা পর্যবেক্ষণ এবং নেওয়া সিদ্ধান্তগুলোর যৌক্তিকতা বুঝে নেওয়া যুক্তি গঠনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। পিন্টু ও তার সহকর্মীদের গবেষণা অনুসারে, যুক্তি দেওয়ার ক্ষমতা এবং মেটাকগনিশনের মধ্যে একটি শক্তিশালী সম্পর্ক রয়েছে<ref>Pinto, M., Iliceto, P., & Melagno, S. (2012). Argumentative abilities in metacognition and in metalinguistics: A study on university students. European Journal of Psychology of Education, 27(1), 35-58. doi:10.1007/s10212-011-0064-7</ref>। অন্যভাবে বললে, একজন ব্যক্তি নিজের চিন্তা ও তার যথার্থতা নিয়ে যত বেশি ভাবতে পারেন, ততই তারা সুসংগঠিত যুক্তি প্রদান করতে সক্ষম হন। চিন্তাকে ভাষায় বা যুক্তিতে রূপান্তরের মাধ্যমে দেখা যায় যে,সমালোচনামূলক চিন্তনযুক্তি গঠনে ব্যাপক প্রভাব রাখে, যদিও কিছু গবেষণা এই সম্পর্কের পারস্পরিকতা নিয়ে বিভিন্ন দিকও তুলে ধরে।
প্রদত্ত গবেষণাগুলোর মাধ্যমে এটি স্পষ্ট হয় যে, জ্ঞ্যান, অনুমান, মূল্যায়ন এবং মেটাকগনিশনের মতো সমালোচনামূলক চিন্তন দক্ষতাগুলো যুক্তি গঠনের ওপর বড় প্রভাব ফেলে। তবে এর পাশাপাশি এটিও উঠে আসে যে, পাঠ্যক্রমেসমালোচনামূলক চিন্তনশেখানোর মাধ্যমে যুক্তি বিশ্লেষণ দক্ষতা বাড়ানো যায়। বেনসলি ও তার সহকর্মীদের (২০১০) একটি গবেষণা ইঙ্গিত দেয় যে, যখন কোনো কোর্সে সরাসরিসমালোচনামূলক চিন্তনশেখানো হয় এবং অন্য দলগুলোকে তা শেখানো না হয়, তখনসমালোচনামূলক চিন্তনশেখা দল যুক্তি বিশ্লেষণের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য উন্নতি করে<ref>Bensley, A., Crowe, D., Bernhardt, P., Buckner, C., & Allman, A. (2010). Teaching and assessing critical thinking skills for argument analysis in psychology. Teaching of Psychology, 37(2), 91-96. doi:10.1080/00986281003626656</ref>। যুক্তি গঠনে সমালোচনামূলক চিন্তন দক্ষতার ভূমিকা নিয়ে অনেক যুক্তি উপস্থাপন করা যায়, তবে এই গবেষণাটি দেখায়, সাধারণভাবেসমালোচনামূলক চিন্তনশেখানোর মাধ্যমেও শিক্ষার্থীদের যুক্তি বিশ্লেষণ ক্ষমতা বাড়ানো সম্ভব। যদি শিক্ষকরা শ্রেণিকক্ষে যুক্তি এবংসমালোচনামূলক চিন্তনউভয়ের বিকাশ চান, তাহলে এই বিষয়টি পরবর্তী অধ্যায়ের অংশে বিবেচনায় নেওয়া উচিত।
== কীভাবে যুক্তি গঠন সমালোচনামূলক চিন্তন উন্নত করে ==
যুক্তি গঠনসমালোচনামূলক চিন্তনপ্রক্রিয়ার একটি অংশ, এটি চিন্তার স্বচ্ছতা আনে এবং উপযুক্ত তথ্য বিশ্লেষণের ক্ষমতা বাড়ায়। এটি মেটাকগনিশনের অংশ। কারণ একজনকে নিজের ধারণাগুলোর মূল্যায়ন করতে হয়। সমালোচনামূলক চিন্তন দক্ষতা যেমন অনুমান ও/অথবা যুক্তিপূর্ণ সিদ্ধান্ত ব্যবহৃত হয় একটি সংগঠিত ও স্পষ্ট যুক্তি তৈরি করতে।
[[চিত্র:Toulmin_Argumentation_Example.gif|থাম্ব|টলমিন যুক্তি উদাহরণ—যুক্তি গঠনসমালোচনামূলক চিন্তনপ্রক্রিয়ার একটি অংশ, এটি চিন্তার স্বচ্ছতা আনে এবং উপযুক্ত তথ্য বিশ্লেষণের ক্ষমতা বাড়ায়। সমালোচনামূলক চিন্তন দক্ষতা যেমন অনুমান ও/অথবা যুক্তি ব্যবহৃত হয় একটি সংগঠিত ও স্পষ্ট যুক্তি তৈরি করতে।]]
গ্লাসনার এবং শোয়ার্জ (২০০৭) এর গবেষণায় দেখা যায়, যুক্তি গঠন সমালোচনামূলক এবং সৃজনশীল চিন্তার সংযোগস্থলে অবস্থান করে। তারা যুক্তি দেন,, কিশোরদের ক্ষেত্রে যুক্তি গঠনের মাধ্যমে চিন্তন হয়। এটি একাধারে সমালোচনামূলক এবং সৃজনশীল। তারা বলেন, চিন্তাভাবনা সবসময়ই অন্যান্য দৃষ্টিভঙ্গি ও তথ্য দ্বারা প্রভাবিত হয়। নতুন তথ্য নিয়ে সৃজনশীল এবং সমালোচনামূলকভাবে চিন্তা করার ক্ষমতা যুক্তি গঠনের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত হয়<ref>Glassner, A., & Schwarz, B. B. (2007). What stands and develops between creative and critical thinking? argumentation?. Thinking Skills and Creativity, 2(1), 10-18. doi:10.1016/j.tsc.2006.10.001</ref>। নতুন তথ্য গ্রহণ, মূল্যায়ন ও তা নিয়ে উদার মনোভাব প্রকাশ—এই পারস্পরিক প্রক্রিয়াকে সমালোচনামূলক ও সৃজনশীল চিন্তার সম্মিলিত কার্যক্রম হিসেবে দেখা যায়। তবে একজন ব্যক্তি যখন নতুন তথ্যের ভিত্তিতে সিদ্ধান্তে পৌঁছায়, তখন সেই সিদ্ধান্তের যৌক্তিকতা নির্ণয় করাই মূল বিষয়। যুক্তি গঠন সমালোচনামূলক চিন্তন দক্ষতাকে বিকাশে সহায়তা করে, এটি স্পষ্ট।
যদিও এটি সত্য যেসমালোচনামূলক চিন্তনযুক্তি গঠনে সরাসরি প্রভাব ফেলে, এই সম্পর্ককে দ্বিমুখী হিসেবেও দেখা যায়। এখানে যুক্তি শেখানো সমালোচনামূলক চিন্তন দক্ষতা তৈরি করে। গোল্ড ও তার সহকর্মীদের একটি গবেষণায় দেখা যায়, যুক্তি বিশ্লেষণ ও গল্প বলার মাধ্যমে সমালোচনামূলক চিন্তন দক্ষতা গড়ে তোলা যায়<ref>Gold J., Holman D., & Thorpe R. (2002). The role of argument analysis and story telling in facilitating critical thinking. Management Learning, 33(3), 371-388. doi:10.1177/1350507602333005</ref>। এই গবেষণাটি প্রমাণ করে, যুক্তি বিশ্লেষণ এবং গল্প বলার প্রক্রিয়া কেবল শিক্ষার্থীদের জন্য নয়, বরং প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রেও উপকারী। এই গবেষণায় অংশগ্রহণকারী ছিলেন অভিজ্ঞ ম্যানেজারগণ। গবেষণায়সমালোচনামূলক চিন্তনের চারটি দক্ষতা চিহ্নিত করা হয়েছে যেগুলো যুক্তি বিশ্লেষণ ও গল্প বলার মাধ্যমে উন্নত হতে পারে: বাগ্মিতার সমালোচনা, ঐতিহ্য, কর্তৃত্ব এবং জ্ঞান। এই চারটি দক্ষতা সাধারণত উচ্চবিদ্যালয়ে শেখানো সমালোচনামূলক চিন্তন দক্ষতার চেয়ে গভীরতর, এবং এগুলোর বিকাশ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যুক্তি গঠনসমালোচনামূলক চিন্তনকে এমনভাবে প্রভাবিত করতে পারে। এটি ব্যক্তিকে নিজের মূল্যবোধ ও বিশ্বাস নিয়ে আরও গভীরভাবে চিন্তা করতে সক্ষম করে এবং নতুন তথ্য পেলে তা পুনর্মূল্যায়ন করার সুযোগ দেয়।
উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য যুক্তি গঠনসমালোচনামূলক চিন্তনএবং সৃজনশীল চিন্তার উভয় ক্ষেত্রেই উপকারী। ডেমির এবং ইসলেইন (২০১৫) এর গবেষণায় দেখা যায়, নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে বিজ্ঞান শিক্ষায় যুক্তিভিত্তিক পদ্ধতি প্রয়োগ করলে উভয় ধরনের চিন্তার দক্ষতা বৃদ্ধি পায়<ref>Demir, B., & İsleyen, T. (2015). The effects of argumentation based science learning approach on creative thinking skills of students. Educational Research Quarterly, 39(1), 49-82.</ref>। শিক্ষার্থীরা যখন যুক্তি গঠনের মাধ্যমেসমালোচনামূলক চিন্তনএবং সৃজনশীল চিন্তার বিকাশ ঘটাতে পারে, তখন এটি অত্যন্ত ইতিবাচক ফল দেয়। যেহেতু আগেই বলা হয়েছে যে, সৃজনশীল এবং সমালোচনামূলক চিন্তন দক্ষতা যুক্তির মাধ্যমে চিন্তা করে উপসংহারে পৌঁছায়, তাই শ্রেণিকক্ষে যুক্তি-নির্ভর পাঠদান উভয় ধরনের দক্ষতাই বৃদ্ধি করে। সারসংক্ষেপে বলা যায়, যুক্তি গঠন এবংসমালোচনামূলক চিন্তনএর মধ্যে একটি দৃঢ় সম্পর্ক রয়েছে, এবংসমালোচনামূলক চিন্তনউপশ্রেণির অনেক দক্ষতার সাথেই এদের সম্পর্ক আছে। এই দুটি ধারণার সুনির্দিষ্ট পাঠদান একে অপরের বিকাশে সহায়ক এবং পরিপূরক বলেই প্রতীয়মান। এই অধ্যায়ের পরবর্তী অংশে এই বিষয়গুলো পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্তির উপযোগিতা এবং কীভাবে তারা যৌক্তিক চিন্তন ও জীবনের জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা বৃদ্ধিতে সহায়ক—তা আলোচনা করা হবে।
= যুক্তি ও সমালোচনামূলক চিন্তার পাঠদান =
[[চিত্র:HUJI_Election_Debate_(8361985738).jpg|থাম্ব|বিতর্ক হচ্ছে যুক্তি ওসমালোচনামূলক চিন্তনের একটি ব্যবহারিক প্রয়োগ]]
== শিক্ষণ কৌশল ==
সমালোচনামূলক চিন্তনশেখানোর কার্যকর পদ্ধতি হলো চিন্তার দক্ষতাগুলোকে একটি পরিস্কার এবং ধারাবাহিক ধাপে বিন্যস্ত করা। এই ধাপগুলো শিক্ষার্থীদের তাদের নিজস্ব চিন্তন পদ্ধতি সম্পর্কে সচেতন করে এবং বাস্তব জীবনে তা প্রয়োগের উপযোগিতা শেখায়। যুক্তিপূর্ণ পদ্ধতিতে। এখানে শিক্ষার্থীরা বিস্তৃত ধারণা থেকে শুরু করে নির্দিষ্ট কাজের দিকে অগ্রসর হয়,সমালোচনামূলক চিন্তনের মাধ্যমে পূর্বে জানা কিছু থেকে নতুন কিছু তৈরি করতে পারে।সমালোচনামূলক চিন্তনের চেতনায়, শিক্ষার্থীর নিজের দক্ষতা সম্পর্কে সচেতনতা তাদের শিক্ষায় একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের শুধু ফলাফলের ওপর মনোযোগ না দিয়ে, বরং লক্ষ্য অর্জনের পেছনের চিন্তন প্রক্রিয়া সম্পর্কে ভাবতে উৎসাহিত করা উচিত। এই ধরণের আত্মমূল্যায়নের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা যুক্তির মতো কাজের জন্য প্রয়োজনীয় চিন্তার দক্ষতা সম্পর্কে আরও সচেতন হয়ে উঠতে পারে।
সমালোচনামূলক চিন্তন এবং যুক্তি প্রদানের শিক্ষা দেওয়ার অর্থ হলো প্রথমেই সমালোচনামূলক চিন্তন দক্ষতা ব্যবহারের প্রতি মনোযোগ দেওয়া। সমালোচনামূলক চিন্তা শেখানোর জন্য একটি পরিকল্পনা তৈরির সময়, একজনকে বিভিন্ন পদ্ধতি মূল্যায়ন ও বিশ্লেষণ করে তথ্যভিত্তিক সিদ্ধান্ত নিতে হয় যে কোনটি তার শ্রেণির জন্য সবচেয়ে উপযোগী হবে। সমালোচনামূলক চিন্তা শেখানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের পন্থা রয়েছে। ''বর্ণনামূলক মডেলগুলো'' বোঝায় কীভাবে "ভালো" চিন্তাভাবনা কাজ করে। এটি বিশেষভাবে মনোযোগ দেয় এমন চিন্তন কৌশলের উপর, যেমন হিউরিস্টিক্স যা তথ্য মূল্যায়ন ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে সাহায্য করে। অন্যদিকে, ''নির্দেশনামূলক মডেলগুলো'' বোঝায় কী হওয়া উচিত একটি ভালো চিন্তার ধরণ। এক অর্থে, এই মডেলগুলো একটি প্রোটোটাইপ বা “নির্দেশনা” দেয় ভালো চিন্তা কী হওয়া উচিত। এই পদ্ধতিটি তুলনামূলকভাবে কম প্রয়োগযোগ্য এবং উচ্চতর স্তরের চিন্তাভাবনার জন্য একটি উচ্চ মানদণ্ড স্থাপন করে। যেকোনো পদ্ধতি নির্বাচন করার আগে, একজন শিক্ষককে অবশ্যই নির্ধারণ করতে হবে তিনি শিক্ষার্থীদের কোন নির্দিষ্ট ধরণের সমালোচনামূলক চিন্তন দক্ষতা শেখাতে চান। এই প্রক্রিয়ায় শিক্ষার্থীদের বয়স, কর্মদক্ষতা এবং জ্ঞানীয় ক্ষমতা বিবেচনা করে এমন একটি কর্মসূচি তৈরি করতে হয় যা বেশিরভাগ, যদি না হয় সব, শিক্ষার্থীদের উপকারে আসে। একজন শিক্ষকের জন্য শেষ যে বিষয়ে বিবেচনা করা উচিত, তা হলো '''সরাসরি''' নাকি '''পরোক্ষ পদ্ধতিতে''' সমালোচনামূলক চিন্তন শেখানো হবে। ''সরাসরি নির্দেশনা'' বোঝায় সমালোচনামূলক চিন্তন দক্ষতার স্পষ্ট শিক্ষা যা নিয়ম এবং ধাপগুলো জোর দিয়ে শেখায়। এটি সবচেয়ে কার্যকরী হয় যখন সমস্যার সমাধান সীমিত বা সহজ হয়। এর বিপরীতে, ''পরোক্ষ নির্দেশনা'' হলো শিক্ষার্থী-কেন্দ্রিক শিক্ষা পদ্ধতি যা শিক্ষার্থীর নিজস্ব চিন্তাধারা গঠনের উপর জোর দেয়। এটি সবচেয়ে কার্যকর যখন সমস্যা অনির্ধারিত, অস্পষ্ট বা ব্যাখ্যার ওপর নির্ভরশীল হয়, যেমন নৈতিক বা নীতিশাস্ত্রভিত্তিক সিদ্ধান্ত <ref name="bruningrh3" />।
পরোক্ষ সমালোচনামূলক চিন্তন শেখানোর একটি উদাহরণ হলো সাহিত্য পর্যালোচনা লেখার প্রক্রিয়া। চ্যান্ডলার ও ডেডম্যান-এর মতে, সাহিত্য পর্যালোচনার জন্য তথ্য সংগ্রহ, বিশ্লেষণ এবং ফলাফল সংক্ষেপে উপস্থাপন করার দক্ষতা অর্জন সমালোচনামূলক চিন্তা চর্চারই একটি অংশ। একটি শিক্ষণ নোটে, তারা একটি বিএসডব্লিউ (ব্যাচেলর অব সোশ্যাল ওয়ার্ক) প্রোগ্রাম বিশ্লেষণ করেন যা স্নাতক শিক্ষার্থীদের মধ্যে সমালোচনামূলক চিন্তাকে উন্নত করতে চেয়েছিল। তারা নির্দিষ্টভাবে বলেন, সাহিত্য পর্যালোচনা তৈরির মতো ব্যবহারিক লেখার অ্যাসাইনমেন্ট শিক্ষার্থীদের পুনর্বিবেচনা এবং প্রতিফলনের সাথে যুক্ত করতে সাহায্য করে এবং তাদের চিন্তার পরিধি বাড়িয়ে বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি বিশ্লেষণের সুযোগ দেয়। তারা দেখতে পান, যখন এই অ্যাসাইনমেন্টকে একটি সমালোচনামূলক পর্যালোচক হিসেবে শিক্ষার্থীদের বিকাশের একটি হাতিয়ার হিসেবে উপস্থাপন করা হয়, তখন শিক্ষার্থীরা এটিকে শুধুমাত্র কোর্স উপাদানের সারাংশ হিসেবে নয় বরং সমালোচনামূলক পাঠ ও লেখন দক্ষতা উন্নয়নের সুযোগ হিসেবেও দেখেছে। আলোচনার সময় প্রশ্নের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের তাদের প্রবন্ধের উৎসের কর্তৃত্ব ও বিশ্বাসযোগ্যতা বিশ্লেষণে সাহায্য করা হয়। শিক্ষার্থীরা তাদের বিষয়ে আরও প্রমাণ সংগ্রহে সচেষ্ট হয়। বিএসডব্লিউ প্রোগ্রামের শেষে শিক্ষার্থীরা সফলভাবে সুচিন্তিত সাহিত্য পর্যালোচনা তৈরি করে <ref>Chandler, S. & Dedman, D.E. (2012). Writing a Literature Review: An Essential Component of Critical Thinking. The Journal of Baccalaureate Social Work, 17. 160-165.</ref>। এই প্রোগ্রামটি সমালোচনামূলক চিন্তন দক্ষতার নিঃশব্দ শিক্ষা প্রদান করে। এখানে শিক্ষকের সাথে সংলাপ এবং সহপাঠী অংশগ্রহণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এখানে নির্দিষ্ট দক্ষতা বা ধাপ স্পষ্টভাবে বলা হয় না, বরং শিক্ষার্থীদের একটি অ্যাসাইনমেন্টের মাধ্যমে সমালোচনামূলক চিন্তা অনুশীলনে নিয়ে যাওয়া হয়। যখন শিক্ষার্থীরা অ্যাসাইনমেন্টে কাজ করে, তখন তাদের যুক্তি, বিশ্লেষণ এবং অনুমানমূলক দক্ষতা ব্যবহার করতে হয় যাতে তারা তাদের বিষয় সংক্রান্ত প্রমাণগুলোকে সংহত করে সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারে। অ্যাসাইনমেন্ট ভিত্তিক সমালোচনামূলক চিন্তা দক্ষতার ব্যবহার শিক্ষার্থীদের মধ্যে পরোক্ষ নির্দেশনার মাধ্যমে এই দক্ষতা গড়ে তোলে।
[[চিত্র:False_dichotomy_public_transport.png|থাম্ব|যুক্তির মানচিত্র একটি যুক্তি উপস্থাপনের দৃশ্যায়ন]]
যুক্তির মানচিত্র হলো যুক্তি উপস্থাপনের একটি ভিজ্যুয়াল উপায়। নিচে যুক্তির মানচিত্র তৈরির সফটওয়্যারগুলোর লিংক দেওয়া হলো:
https://www.rationaleonline.com/
http://www.argunet.org/editor/
http://debategraph.org/planet
https://www.truthmapping.com/map/1021/#s7164
== সমালোচনামূলক চিন্তনের জন্য দক্ষতা ভিত্তিক প্রোগ্রাম ==
এই প্রোগ্রামগুলো বিকল্প শিক্ষণ পদ্ধতির মাধ্যমে সমালোচনামূলক চিন্তন দক্ষতা গঠনে সহায়তা করে, যেমন সমস্যা সমাধান। সাধারণত এগুলো বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের জন্য তৈরি করা হয়, যেমন শেখার অক্ষমতা বা জ্ঞানীয় ঘাটতিসম্পন্ন শিক্ষার্থীরা।
=== CoRT চিন্তন সামগ্রী ===
CoRT (কগনিটিভ রিসার্চ ট্রাস্ট) প্রোগ্রামটি ডি বোনো-র ধারণার ওপর ভিত্তি করে তৈরি। এখানে বলা হয়েছে চিন্তন দক্ষতাকে স্কুলে একটি বিষয় হিসেবে শেখানো উচিত <ref name="alf">Al-Faoury, O.H., & Khwaileh, F. (2014). The Effect of Teaching CoRT Program No. (4) Entitles “Creativity” on the Gifted Learners’ Writing in Ein El-Basha Center for Gifted Students. Theory and Practice in Language Studies, 4(11), 2249-2257. doi:10.4304/tpls.4.11.2249-2257.</ref>। চিন্তন সামগ্রী মূলত চিন্তন দক্ষতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে তৈরি। এই দক্ষতা ভিত্তিক প্রোগ্রাম গেস্টাল্ট পদ্ধতির অনুসরণ করে এবং সমস্যা সমাধানে পারসেপচুয়াল ফ্যাক্টরের উপর গুরুত্ব দেয়। এটি সাধারণত দুই বছরের একটি কোর্স যা বিভিন্ন বয়সের শিশুদের উপযোগী। পাঠগুলো সৃজনশীল চিন্তা, সমস্যা সমাধান ও আন্তঃব্যক্তিক দক্ষতা বিকাশে সহায়তা করে। সামগ্রীগুলো ছয়টি ইউনিটে বিভক্ত এবং পরিকল্পনা, বিশ্লেষণ, তুলনা, নির্বাচন, মূল্যায়ন ও বিকল্প ধারণা তৈরির মতো বিষয় অন্তর্ভুক্ত করে। একটি সাধারণ ইউনিটে লিফলেট থাকে যা একটি নির্দিষ্ট বিষয় কাভার করে, এরপর অনুশীলনের জন্য উদাহরণ দেওয়া হয়। এই লিফলেটগুলো সাধারণত দলীয় কার্যক্রমে বেশি কার্যকর। ইউনিটগুলোর মূল লক্ষ্য হলো চিন্তন দক্ষতা অনুশীলন করানো, তাই পাঠের অধিকাংশ সময় এই বিষয়গুলোর চর্চার জন্য বরাদ্দ থাকে <ref name="bruningrh3" />।
এই স্বতন্ত্র প্রোগ্রামের উপর করা অধিকাংশ গবেষণা সৃজনশীল চিন্তা বিকাশের উপর কেন্দ্রীভূত, তবে এটি এই অধ্যায়ে উল্লিখিত অন্যান্য প্রোগ্রামগুলোর তুলনায় তুলনামূলকভাবে বেশি বিস্তৃত। CoRT প্রোগ্রামটি মেধাবী শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। আল-ফাউরি ও খোয়াইলেহ (২০১৪) CoRT প্রোগ্রামটি মেধাবী শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল লেখার উপর কী ধরনের প্রভাব ফেলে তা মূল্যায়ন করেন। শিক্ষার্থীদের একটি প্রাক-পরীক্ষা দেওয়া হয় যেখানে সৃজনশীল ছোটগল্প লেখার ক্ষেত্রে প্রবাহ, নমনীয়তা ও মৌলিকতা মূল্যায়ন করা হয় <ref name="alf" />। পরীক্ষামূলক গ্রুপের শিক্ষার্থীরা তিন মাসে মোট ২০টি CoRT পাঠ গ্রহণ করে। এর মধ্যে ১০টি ছিল CoRT 1 “Breadth” এবং ১০টি CoRT 4 “Crea tivity” থেকে, অপরদিকে নিয়ন্ত্রণ গ্রুপকে ঐতিহ্যবাহী সৃজনশীল লেখার পাঠ দেওয়া হয়। পরবর্তী পরীক্ষা একই মানদণ্ডে নেওয়া হয় এবং ফলাফল প্রাক-পরীক্ষা ও পরবর্তী পরীক্ষার স্কোরের তুলনা করে বিশ্লেষণ করা হয়। গবেষকেরা দেখতে পান, পরীক্ষামূলক গ্রুপের প্রবাহ, নমনীয়তা ও মৌলিকতা স্কোরে একটি পরিসংখ্যানগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ উন্নতি হয়েছে। এই তিনটি উপাদানেই পরীক্ষামূলক গ্রুপের গড় স্কোর নিয়ন্ত্রণ গ্রুপের তুলনায় বেশি ছিল <ref name="alf" />। এই ফলাফলগুলো নির্দেশ করে CoRT প্রোগ্রামটি রূপক, উপমা ইত্যাদির মতো অলংকারশাস্ত্রীয় কৌশল ব্যবহারের মাধ্যমে, সংলাপের মাধ্যমে চরিত্র বিকাশ এবং জটিল গঠন নিয়ন্ত্রণে শিক্ষার্থীদের সহায়তা করে <ref name="alf" />। লেখার নমনীয়তা ও প্রবাহ যুক্তি প্রদর্শন এবং সমালোচনামূলক চিন্তার চর্চার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। ধারণা উপস্থাপন ও পরিবর্তনের ক্ষমতা বিকাশের মাধ্যমে, শিক্ষার্থীরা এই দক্ষতাগুলো সৃজনশীল লেখালেখি থেকে উচ্চতর জ্ঞানীয় প্রক্রিয়ায়—যেমন সমালোচনামূলক চিন্তা ও যুক্তি প্রদান—পরিবর্তন করতে সক্ষম হয়।
=== ফয়ের্স্টাইন ইনস্ট্রুমেন্টাল এনরিচমেন্ট প্রোগ্রাম (এফআইই) ===
এফআইই একটি বিশেষায়িত প্রোগ্রাম যা মধ্যস্থতাভিত্তিক শিক্ষার অভিজ্ঞতার উপর ভিত্তি করে গড়ে তোলা হয়েছে এবং এর উদ্দেশ্য হলো সমালোচনামূলক চিন্তা ও সমস্যা সমাধান দক্ষতা গড়ে তোলা। মধ্যস্থতা হলো এমন এক শিক্ষণ পদ্ধতি যা শিক্ষার্থী ও মধ্যস্থতাকারীর মধ্যে পারস্পরিক সংলাপের মাধ্যমে ঘটে। ভাইগোৎস্কির “স্ক্যাফোল্ডিং”-এর মতো, এটি শিক্ষার্থী-কেন্দ্রিক এবং চারটি মূল উপাদানের উপর ভিত্তি করে: উদ্দেশ্যমূলকতা, পারস্পরিকতা, পরিপার্শ্বে প্রসারণ এবং অর্থবোধকতা <ref name="kozulin">Kozulin, A. & Presseisen, B.Z. (1995). Mediated Learning Experience and Psychological Tools: Vygotsky’s and Feuerstein’s Perspective in a Study of Student Learning. Educational Psychologist, 30(2), 67-75.</ref>। উদ্দেশ্যমূলকতা বোঝায় মধ্যস্থতা ও সাধারণ পারস্পরিক যোগাযোগের মধ্যে পার্থক্য। এখানে শিক্ষার্থী ও মধ্যস্থতাকারীর মধ্যে একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য থাকে। পারস্পরিকতা বোঝায় শিক্ষার্থী-কেন্দ্রিক মনোভাব। এখানে শিক্ষার্থীর প্রতিক্রিয়াই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, শিক্ষাবিষয়ক ফলাফল নয়। পরিপার্শ্বে প্রসারণ বোঝায় বর্তমান পাঠ ছাড়িয়ে নতুন সংযোগ তৈরি ও প্রয়োগের উৎসাহ প্রদান। অর্থবোধকতা বোঝায় শিক্ষার্থী ও মধ্যস্থতাকারী পরিষ্কারভাবে “কেন” ও “কিসের জন্য” প্রশ্নের উত্তর নির্ধারণ করে। এটি শিক্ষার সময় সংলাপ বাড়ায় <ref name="kozulin" /><ref>Presseisen, B.Z. & Kozulin, A. (1992). Mediated Learning – The Contributions of Vygotsky and Feuerstein in Theory and Practice.</ref>
এই প্রোগ্রামে ব্যবহৃত “ইনস্ট্রুমেন্টগুলো” হলো পেন্সিল-পেপার ভিত্তিক অনুশীলন যা শিক্ষার্থীদের উচ্চতর চিন্তন কৌশল অন্তর্নিহিতভাবে অনুশীলনে সহায়তা করে। এই ইনস্ট্রুমেন্টগুলো বিশ্লেষণাত্মক উপলব্ধি, স্থানগত সংগঠন, শ্রেণীবিন্যাস, তুলনা এবং অন্যান্য অনেক বিষয়ে কাজ করে। বিভিন্ন দেশে এই প্রোগ্রামের প্রয়োগ পদ্ধতি ভিন্ন এবং লক্ষ্যকৃত জনগোষ্ঠীর উপর নির্ভরশীল। একটি সাধারণ প্রোগ্রামে ১৪টি ইউনিট থাকে এবং প্রতি সপ্তাহে কয়েক ঘণ্টার জন্য ৩–৪টি সেশন পরিচালনা করা হয়। এটি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত IE কর্মী ও শিক্ষকরা পরিচালনা করে <ref name="kozulin" />।
=== ফলপ্রসূ চিন্তন কর্মসূচি ===
ফলপ্রসূ চিন্তন কর্মসূচির লক্ষ্য হলো পরিকল্পনা করার দক্ষতা, অনুমান তৈরি ও যাচাই এবং নতুন ধারণা উদ্ভাবন। এটি ১৫টি পাঠে বিভক্ত যা একটি সেমিস্টারে সম্পন্ন করার জন্য তৈরি। প্রোগ্রামের লক্ষ্য গোষ্ঠী হলো উচ্চস্তরের প্রাথমিক শ্রেণির শিক্ষার্থীরা। পাঠগুলো একটি গল্পনির্ভর বইয়ের মাধ্যমে পড়ানো হয়। এখানে শিক্ষার্থীরা একজন গোয়েন্দার ভূমিকায় কাজ করে এবং রহস্য সমাধান করে। একটি নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য শিক্ষার্থীদের একটি কাঠামোবদ্ধ ধাপ অনুসরণ করতে হয় <ref>Schuler, G. (1974). The Effectiveness of the Productive Thinking Program. Paper presented at the Annual Meeting of the American Educational Research Association. Retrieved from: http://www.eric.ed.gov/contentdelivery/servlet/ERICServlet?accno=ED103479.</ref>। পাঠ শেষে অতিরিক্ত সমস্যা দেওয়া হয় যাতে শিক্ষার্থীরা শিখিত দক্ষতা প্রয়োগ করে অনুশীলন করতে পারে <ref name="bruningrh3" />।
=== IDEAL সমস্যা সমাধান পদ্ধতি ===
IDEAL সমস্যা সমাধান পদ্ধতি ৫টি ধাপের একটি কাঠামো যা IDEAL নামের সংক্ষিপ্তরূপে উপস্থাপিত। প্রথমে, (I)dentify: সমস্যা শনাক্ত করা, অর্থাৎ সমস্যাটি কী তা বুঝতে হবে। দ্বিতীয় ধাপ, (D)efine: সমস্যা সংজ্ঞায়িত করা। এখানে পুরো সমস্যাটি পরিষ্কারভাবে বোঝা জরুরি। তৃতীয় ধাপ, (E)xplore: বিকল্পগুলো অন্বেষণ করা, অর্থাৎ সম্ভাব্য সমাধানগুলো বিশ্লেষণ করা। চতুর্থ ধাপ, (A)cting: একটি পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করা। শেষ ধাপ, (L)ooking: ফলাফল পর্যবেক্ষণ করা, অর্থাৎ গৃহীত সমাধানের প্রভাব বিশ্লেষণ করা। IDEAL একটি নমনীয় কাঠামো যা বিভিন্ন বয়স ও দক্ষতার শিক্ষার্থীদের জন্য উপযোগী এবং বিভিন্ন বিষয়ে যেমন রচনা বা পদার্থবিজ্ঞানে প্রয়োগ করা যায় <ref name="bruningrh3" />।
== যুক্তিবাদের নির্দেশনা ==
যুক্তিবাদ নিয়ে গবেষণা শিক্ষা ক্ষেত্রে তুলনামূলকভাবে নতুন একটি ক্ষেত্র হলেও, এটি প্রায় সব ধরনের শিক্ষাব্যবস্থার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং কলেজগুলো এখন শ্রেণিকক্ষে যুক্তিবাদের ব্যবহারে গুরুত্ব দিচ্ছে। কারণ এটি বিশ্বব্যাপী পেশাগত ও শিক্ষামূলক পরিবেশে যোগাযোগ ও বিতর্কের সবচেয়ে কার্যকর উপায় হিসেবে দেখা হচ্ছে।<ref name="cro">Crowell, A., & Kuhn, D. (2014). Developing dialogic argumentation skills: A 3-year intervention study. Journal of Cognition and Development, 15(2), 363-381. doi:10.1080/15248372.2012.725187</ref> ক্রোয়েল এবং কুহন কর্তৃক পরিচালিত একটি দীর্ঘমেয়াদী গবেষণায় দেখা গেছে, শিক্ষার্থীদের যুক্তিবাদী দক্ষতা অর্জনে সবচেয়ে কার্যকর উপায় হলো শ্রেণিকক্ষে ও বাড়ির কাজ হিসেবে ধারাবাহিক ও ঘনঘন যুক্তিবাদের প্রয়োগ।<ref name="cro" /> এই গবেষণার সময় শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন পদ্ধতির মাধ্যমে যুক্তিবাদী দক্ষতা অর্জন করেছে। বন্ধুদের সঙ্গে সহযোগিতা, কম্পিউটার ব্যবহার, আত্মপ্রত্যয়মূলক কার্যকলাপ, ব্যক্তিগত প্রবন্ধ এবং ছোট দলের কাজ—এই সব কৌশল যুক্তিবাদ শেখানোর ক্ষেত্রে মূল্যবান প্রমাণিত হয়েছে, যদিও কোনটি সবচেয়ে কার্যকর তা স্পষ্ট নয়।<ref name="cro" /> গবেষণার তথ্য থেকে দেখা যায়, শিক্ষার্থীরা যেখান থেকে শুরু করেছিল, তাদের আগের যুক্তিবাদী পরীক্ষার ফলাফল যাই হোক না কেন, সকলেই প্রায় সমান মাত্রার যুক্তিবাদী দক্ষতা অর্জন করেছে। এটি প্রমাণ করে, এমনকি যাদের প্রথম দিকে যুক্তিবাদী দক্ষতা নেই বলেই মনে হয়েছে, তারাও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সেই দক্ষতা অর্জন করতে পারে এবং হয়তো তাদের চেয়েও ভালো করতে পারে যারা শুরুতে বেশি নম্বর পেয়েছিল।<ref name="cro" />
=== সংলাপ ও যুক্তিবাদ ===
ক্রোয়েল এবং কুহন (২০১১) এর গবেষণায় দেখা যায়, যৌথ সংলাপভিত্তিক কার্যকলাপ যুক্তিবাদী দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য কার্যকর হস্তক্ষেপ হতে পারে। তারা একটি দীর্ঘমেয়াদী হস্তক্ষেপ চালু করেন। সেখানে একটি মধ্যবিদ্যালয়ের দর্শনের ক্লাসে বিষয়ভিত্তিক চক্র ব্যবহার করে যুক্তিবাদ শেখানো হয়<ref name="crowell">Crowell, A., & Kuhn, D. (2011). Dialogic Argumentation as a Vehicle for Developing Young Adolescents’ Thinking. Psychological Science, 22(4), 545-552. DOI: 10.1177/0956797611402512.</ref>। শিক্ষার্থীরা সপ্তাহে দুই দিন, প্রতি ক্লাসে ৫০ মিনিট করে তিন বছর ধরে ক্লাস করে। এই হস্তক্ষেপ ছিল তিন ধাপে: প্রথমে শিক্ষার্থীদের ছোট ছোট দলে ভাগ করে তাদের যুক্তির একদিকে রাখার মাধ্যমে ধারণা তৈরি করা হয় (“পক্ষে” এবং “বিপক্ষে” দল)। এরপর প্রতিপক্ষের সঙ্গে বৈদ্যুতিক মাধ্যমে যুক্তি তর্কে যুক্ত হয়। সবশেষে পুরো শ্রেণিকক্ষে একত্রে বিতর্কে অংশ নেয়। এই তিনটি ধাপ যথাক্রমে প্রিগেম, গেম এবং এন্ডগেম নামে পরিচিত। হস্তক্ষেপ শেষে শিক্ষার্থীদের একটি প্রবন্ধ লিখতে বলা হয় যার মাধ্যমে তাদের যুক্তিবাদী দক্ষতা মূল্যায়ন করা হয়<ref name="crowell" />। ফলাফল দেখায় যে হস্তক্ষেপপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের মধ্যে দ্বিমুখী দৃষ্টিভঙ্গি ভিত্তিক যুক্তি তৈরির হার বৃদ্ধি পেয়েছে। এই ধরনের যুক্তি প্রদানের জন্য একজনকে নিজের বিপরীত অবস্থান নিতে হয় এবং সেই অনুযায়ী যুক্তি সাজাতে হয়। এই ধরনের যুক্তি উচ্চতর মানসিক প্রক্রিয়া নির্দেশ করে যা বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গিকে বিশ্লেষণ করার সামর্থ্য চায়। এই পরিবর্তনগুলি দ্বিতীয় বছর পর্যন্ত দৃশ্যমান ছিল না এবং তৃতীয় বছরেই তা পরিসংখ্যানগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে প্রমাণিত হয়। এটি নির্দেশ করে যুক্তিবাদী দক্ষতা অন্যান্য নিম্নস্তরের মানসিক দক্ষতার তুলনায় বেশি সময় নিয়ে গড়ে ওঠে<ref name="crowell" />। এই স্বতন্ত্র হস্তক্ষেপ প্রমাণ করে সংলাপভিত্তিক কার্যকলাপের সহযোগিতামূলক দিকটি যুক্তিবাদের জন্য প্রয়োজনীয় মানসিক প্রবণতা গঠনে সহায়তা করে<ref name="crowell" />।
[[চিত্র:Dynamic_roles_during_dialogue.jpg|থাম্ব|যুক্তিবাদ বিকাশে সংলাপভিত্তিক কার্যকলাপ গুরুত্বপূর্ণ। পারিবারিক থেরাপিস্ট ডেভিড ক্যান্টর সংলাপের সময় অংশগ্রহণকারীরা যে চারটি ভিন্ন ভিন্ন ভূমিকা গ্রহণ করেন, তা চিত্রিত করেছেন।]]
আরও গবেষণায় দেখা যায়, সহযোগিতামূলক আলোচনা ও যুক্তিবাদী সংলাপের মাধ্যমে শিক্ষা প্রদান একটি কার্যকর কৌশল<ref name="macagno2" />। যুক্তিবাদের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ধারণা এবং এই ধারণাগুলোর পেছনের মৌলিক চিন্তাধারা অর্জন করতে পারে। যুক্তি তৈরি করতে গেলে শিক্ষার্থীদের গ্রহণযোগ্য সংজ্ঞা বা দাবির মাধ্যমে একটি যুক্তির কাঠামো গড়ে তুলতে হয়। যুক্তিবাদ শিক্ষার্থীদের ভুল ধারণা স্পষ্ট করতে সাহায্য করে এবং তাদের পূর্বজ্ঞান ব্যাখ্যা ও সম্প্রসারণের সুযোগ দেয়। যুক্তিবাদের দুটি প্রধান দিক—সংলাপ এবং কাঠামো—প্রায়শই যুক্তিবাদী দক্ষতার মূল্যায়নে ব্যবহৃত হয়<ref name="macagno2" />। বিশেষ করে শিক্ষার্থী ও বিশেষজ্ঞদের মধ্যকার সংলাপের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের নির্দিষ্ট যুক্তি ও পাল্টা যুক্তি দিতে উৎসাহিত করা যায়। এটি বিশেষজ্ঞের সংলাপগত সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করে<ref name="macagno2" />। এই সহায়ক কাঠামো শিক্ষার্থীকে গভীরভাবে বিশ্লেষণ করতে সহায়তা করে।
যখন শিক্ষার্থী-শিক্ষার্থী এবং শিক্ষার্থী-বিশেষজ্ঞ সংলাপের মধ্যে যুক্তিবাদী আচরণের কনটেন্ট ও কার্যকরী কোডিং বিশ্লেষণ করা হয়, তখন ম্যাকাগ্নো, মেওয়েগ-পাউস ও কুহন (২০১৪) দেখেছেন যে শিক্ষার্থী-বিশেষজ্ঞ সংলাপের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা পরবর্তীতে মূল বিষয়টির গভীরে থাকা বিমূর্ত ধারণা (যেমন নৈতিক নীতিমালা, মূল্যবোধের দ্বন্দ্ব) নিয়ে যুক্তি তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে। এটি শিক্ষার্থী-শিক্ষার্থী সংলাপে দেখা যায়নি<ref name="macagno2" />। বিশেষজ্ঞরা শিক্ষার্থীর যুক্তিকে আক্রমণ করার জন্য আরও নির্দিষ্ট ও জটিল কৌশল ব্যবহার করেন, যেমন সমস্যা সমাধানের বিকল্প উপায় প্রস্তাব করা। এটি পরবর্তী সময়ে শিক্ষার্থীর মেটা-সংলাপে পারফরম্যান্স উন্নত করেছে<ref name="macagno2" />। এই ফলাফল নির্দেশ করে সহযোগিতামূলক কার্যকলাপে যুক্তিবাদের ব্যবহার যুক্তিবাদী দক্ষতা বিকাশে সহায়ক। সমালোচনামূলক চিন্তনের মতো, শিক্ষাদানের পরিবর্তে, ইন্টারঅ্যাকটিভ পরিবেশে অনুশীলনের মাধ্যমে যুক্তিবাদ শেখা আরও কার্যকর হতে পারে।
=== বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদ ===
শ্রেণিকক্ষে যুক্তিবাদের প্রয়োগ নিয়ে অধিকাংশ সাহিত্য বৈজ্ঞানিক বিষয়কেই কেন্দ্র করে লেখা হয়েছে। যুক্তিবাদ বিজ্ঞান শিক্ষায় একটি টুল হিসেবে ব্যবহৃত হয় সমালোচনামূলক চিন্তন উন্নত করতে, ক্লাসে অংশগ্রহণ বাড়াতে এবং বিষয়ের চারপাশে পূর্বজ্ঞান ও বিশ্বাস সক্রিয় করতে<ref name="macagno2" />। বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব ও জ্ঞান ব্যাখ্যা এবং পরিশোধিত করার জন্য বিজ্ঞানীরাও যুক্তিবাদের ওপর নির্ভর করেন<ref name="jonassen2" />। জোনাসেন ও কিম (২০১০) বলেন, বিজ্ঞান শিক্ষকরা প্রায়ই যুক্তিবাদের গুরুত্ব অন্যান্য বিষয়ের চেয়ে বেশি দেন<ref>Jonassen, D.H., & Kim, B. (2010). Arguing to learn ad learning to argue: design justifications and guidelines. Education Technology & Research Development, 58(4), 439-457. DOI 10.1007/s11423-009-9143-8.</ref>। যুক্তিবাদ শিক্ষার্থীদের ভালোভাবে সংগঠিত সমস্যা ও অসংগঠিত সমস্যার সমাধান শিখতে সাহায্য করে। এটি দৈনন্দিন জীবনের সমস্যাগুলোকেও অন্তর্ভুক্ত করে। বিশেষভাবে, অসংগঠিত সমস্যা হচ্ছে এমন সমস্যা যেখানে লক্ষ্য ও সীমাবদ্ধতা স্পষ্ট নয় এবং একাধিক সমাধানের পথ ও মূল্যায়নের মানদণ্ড থাকে<ref name="jonassen2" />।
যুক্তিবাদের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা সমস্যা সমাধানের জন্য সঠিক যুক্তি ও সমালোচনামূলক চিন্তন প্রয়োগ করতে শেখে। উদাহরণস্বরূপ, একটি ভালোভাবে সংগঠিত সমস্যা হতে পারে পদার্থবিজ্ঞানের একটি প্রশ্ন যেখানে নির্দিষ্ট সূত্র ও নিয়ম অনুসরণ করে উত্তর বের করতে হয় অথবা পাঠ্যবইয়ের শেষে থাকা প্রশ্ন যা নির্দিষ্ট তত্ত্বের ওপর ভিত্তি করে সমাধান করতে হয়। অন্যদিকে, একটি অসংগঠিত সমস্যা হতে পারে একজন ব্যক্তির হৃদরোগের কারণ নির্ধারণ করা। এখানে বিভিন্ন জীবনধারা ও শারীরিক কারণ একত্রে কাজ করে এবং হৃদরোগের নানা রূপও বিবেচনা করতে হয়। এই ধরনের সমস্যা সমাধানের জন্য পুষ্টি, মানসিক স্বাস্থ্য ও জিনগত কারণের মতো অন্যান্য ক্ষেত্র থেকেও জ্ঞান প্রয়োগ করতে হয়। যেহেতু এই সমস্যাগুলোর একক কোনো উত্তর নেই, শিক্ষার্থীরা তাদের সমাধানের যুক্তি দিতে পারে<ref name="jonassen2" />। বিজ্ঞান শেখার সময় এমন সমস্যা সমাধানের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা সমালোচনামূলক চিন্তন ব্যবহার করে যুক্তিবাদী দক্ষতা গড়ে তোলে।
একজন ব্যক্তির যুক্তি প্রদানে আগ্রহ এবং দক্ষতা – এই দুইটিই বিজ্ঞানের শিক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে<ref name="bathgate">Bathgate, M., Crowell, A., Schunn, C., Cannady, M., & Dorph, R. (2015). The learning benefits of being willing and able to engage in scientific argumentation. International Journal of Science Education, 37(10), 1590-1612. doi:10.1080/09500693.2015.1045958</ref>। কারণ, বিজ্ঞান নিজেই এক ধরনের যুক্তিবাদী ক্ষেত্র।
[[চিত্র:The_Scientific_Method_as_an_Ongoing_Process.svg|থাম্ব|বিজ্ঞান মূলত যুক্তিবাদভিত্তিক একটি প্রক্রিয়া; বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির মধ্যেই এই যুক্তিক্রম দেখা যায়।]]
যদি শিক্ষার্থীরা অল্প বয়স থেকেই যুক্তিবাদে অংশ নিতে সক্ষম হয়, তবে তাদের বৈজ্ঞানিক বিষয়বস্তুর জ্ঞান অনেক বেশি বৃদ্ধি পেতে পারে। এর প্রধান কারণ হলো যুক্তিবাদী আলাপচারিতা। সেখানে অন্যের সঙ্গে দ্বিমত প্রকাশ করতে পারা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে কিশোর-কিশোরীদের ক্ষেত্রে যাদের সামাজিক আচরণ অত্যন্ত সক্রিয় থাকে (যেমন জুনিয়র থেকে সিনিয়র হাই স্কুল)। এই সামাজিক সক্ষমতা ব্যবহার করাই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এ সময় তারা একে অপরের সঙ্গে দ্বিমত প্রকাশ করতে আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠে। একজন শিক্ষার্থী যখন ক্লাসে অন্য কারও সঙ্গে যুক্তি দেয়, তখন সে তার চিন্তাভাবনা প্রকাশ করতে বাধ্য হয়। এই চিন্তাভাবনার ভাষায় রূপদান শিক্ষার্থীর শেখার জন্য খুবই কার্যকর<ref name="bathgate" />। এটি তাকে তার চিন্তাভাবনা বিশ্লেষণ ও সম্প্রসারণ করতে সাহায্য করে। কারণ তার ধারণাগুলো শ্রেণিতে উপস্থাপন করতে হয়। এছাড়া, এতে করে শিক্ষার্থী নিজের ভুল ধারণাও শনাক্ত করতে পারে। কারণ সহপাঠীরা তার যুক্তির বিরোধিতা করতে পারে<ref name="bathgate" />। এসব উপাদান সমালোচনামূলক চিন্তার অংশ এবং শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য অর্থাৎ ধারণাগত পরিবর্তনে অবদান রাখে। কিশোর-কিশোরীদের সামাজিক আচরণের এই প্রকৃতি বিজ্ঞানে তাদের শিক্ষায় যুক্তিবাদের প্রভাব বিস্তার করতে একটি সুযোগ সৃষ্টি করে<ref name="bathgate" />।
=== যুক্তিবাদ, সমস্যা সমাধান এবং ইতিহাস শিক্ষায় সমালোচনামূলক চিন্তন ===
ইতিহাস শিক্ষা শিক্ষার্থীদের জন্য সমস্যা সমাধান ও সমালোচনামূলক চিন্তনের বিকাশের এক সমৃদ্ধ সুযোগ প্রদান করে এবং মানব অভিজ্ঞতার প্রতি তাদের দৃষ্টিভঙ্গি প্রসারিত করে। ইতিহাস চর্চা একটি জ্ঞানগত ব্যবধান পূরণ করে; বিশেষ করে, এটি বর্তমান দিনের জ্ঞানের সঙ্গে "অসীম, অসংগঠিত এবং অজানা যা কিছু অতীতে ঘটেছে" – তার পার্থক্য দূর করে।<ref name="”S”">Seixas, P., Morton, T., Colyer, J., & Fornazzari, S. (2013). The Big Six: Historical thinking Concepts. Toronto: Nelson Education.</ref> বহুদিন ধরেই ইতিহাস শিক্ষায় সমালোচনামূলক চিন্তন এবং বিশ্লেষণী সমস্যা সমাধানের গুরুত্ব স্বীকৃত। ইতিহাসে দক্ষ হতে হলে শিক্ষার্থীদের বুঝতে ও নির্মাণ করতে হয় যে কিভাবে আমরা অতীত সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করি এবং কিভাবে অতীত ও ইতিহাস নামক জ্ঞানের ভাণ্ডারের মধ্যে সংযোগ তৈরি করি।<ref>Osborne, K. (2013). Forward. Seixas, P., Morton, T., Colyer, J., & Fornazzari, S. The Big Six: Historical thinking Concepts. Toronto: Nelson Education.</ref> দুর্ভাগ্যজনকভাবে, ইতিহাস শিক্ষাকে আজকাল শুধুমাত্র তথ্য মুখস্থ করার বিষয়ে সীমাবদ্ধ করে ফেলা হয়েছে – যেখানে অতিরিক্ত মুখস্থ এবং বহু বিকল্প প্রশ্নভিত্তিক পরীক্ষার উপর নির্ভর করা হচ্ছে। এটি বর্তমান বাস্তবতা থেকে সম্পূর্ণভাবে আলাদা। এই ধরনের পদ্ধতি শিক্ষার্থীদের ইতিহাস বিষয়ে আগ্রহ তৈরি করতে পারে না, এমনকি এটি অতীত ও বর্তমানের সংযোগ বুঝতেও সাহায্য করে না।
অন্যদিকে, বিজ্ঞান ও গণিতের অধ্যয়ন বহু বছর ধরে সমস্যা সমাধানের কার্যকলাপের মাধ্যমে দক্ষতা উন্নয়নের উপর কেন্দ্রীভূত হয়েছে। শিক্ষার্থীরা প্রাথমিক দক্ষতা অর্জন করে এবং ক্রমাগত জটিল সমস্যার একটি অগ্রগতি অনুসরণ করে এই দক্ষতাগুলোকে আরো গভীরভাবে রপ্ত করে। এটিতে তারা বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব এবং গাণিতিক সম্পর্ক সম্পর্কে আরও ভালোভাবে বুঝতে পারে। বিশেষ করে বিজ্ঞান শিক্ষায়, শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞানীদের মতো চিন্তা করতে এবং বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি ব্যবহার করে সমস্যার সমাধান করতে শেখানো হয়। যদি এই পদ্ধতি বিজ্ঞান ও গণিত শিক্ষার ক্ষেত্রে কার্যকর হয়, তবে ইতিহাস শিক্ষায় এটি ব্যবহার করা যাবে না কেন? <ref name="”S”2" />। অতএব, ঐতিহাসিক চিন্তা বিকাশের জন্য শিক্ষকদের পেশাদার ইতিহাসবিদদের দ্বারা ব্যবহৃত কৌশল ও সমস্যা সমাধানের পন্থাগুলো শেখানো প্রয়োজন। তবে, বিজ্ঞান ও গণিতের মতো নয়, ইতিহাসে আমরা যেসব সমস্যার সমাধান করি, সেগুলো প্রায়ই অস্পষ্ট এবং অনেক সময় সুস্পষ্টভাবে অমীমাংসিত থাকে। এটি শিক্ষার্থীদের জন্য এই দক্ষতাগুলি শেখা ও প্রয়োগ করা আরও চ্যালেঞ্জিং করে তোলে। পরবর্তী অংশে এই চ্যালেঞ্জগুলো আলোচনা করা হবে এবং ২০১৩ সালের ''দ্য বিগ সিক্স হিস্ট্রিকাল থিংকিং কনসেপ্ট'' (ছয়টি বড় ঐতিহাসিক চিন্তাভাবনার ধারণা)-র মাধ্যমে ঐতিহাসিক চিন্তা শেখানোর পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করা হবে।
==== ঐতিহাসিক চিন্তা - দ্য বিগ সিক্স ====
বহু বছরের গবেষণা ও সরাসরি শ্রেণিকক্ষ অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে সেক্সাস ও মর্টন (২০১৩) ঐতিহাসিক চিন্তা দক্ষতা বিকাশের জন্য ছয়টি অপরিহার্য যোগ্যতার একটি সেট তৈরি করেন। উপরোক্ত বিজ্ঞান ও গণিত শিক্ষার মতোই, ইতিহাস শিক্ষায় ‘বিগ সিক্স’ পদ্ধতি শিক্ষার্থীদের সহজ কাজ থেকে জটিল কাজের দিকে অগ্রসর হওয়ার সুযোগ দেয়। তদুপরি, এই পদ্ধতির উদ্দেশ্য হলো শিক্ষার্থীদের “সাধারণ উপলব্ধ ধারণার উপর নির্ভরতা থেকে সরে এসে ইতিহাস বোঝার জন্য সংস্কৃতির সবচেয়ে শক্তিশালী বুদ্ধিবৃত্তিক সরঞ্জাম ব্যবহার করা” শেখানো। (পৃষ্ঠা ১) <ref name="”S”2" /> এছাড়াও, বিগ সিক্স ধারণাগুলো শিক্ষার্থীদের দেখায় যে অতীতের ইতিহাস নির্মাণ করতে গেলে কী ধরণের জটিলতার মুখোমুখি হতে হয়। এই ছয়টি দক্ষতার মধ্যে রয়েছে: ঐতিহাসিক গুরুত্ব, প্রমাণ, ধারাবাহিকতা ও পরিবর্তন। কারণ ও পরিণতি, ঐতিহাসিক দৃষ্টিভঙ্গি, এবং নৈতিক মাত্রা।
'''ঐতিহাসিক গুরুত্ব'''
ইতিহাস সম্পর্কে সমালোচনামূলক দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে তুলতে হলে শিক্ষার্থীদের বুঝতে ও সংজ্ঞায়িত করতে হবে কী কারণে একটি ব্যক্তি, ঘটনা, বা সামাজিক পরিবর্তন ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ এবং কেন তাদের এ বিষয়ে সময় ব্যয় করা উচিত। ইতিহাস শিক্ষায় আচরণবাদী পদ্ধতি। সেখানে পাঠ্যপুস্তকই প্রধান তথ্য উৎস, শিক্ষার্থীদের ইতিহাস শেখায় প্যাসিভ বা নিষ্ক্রিয় হয়ে উঠতে। পাঠ্যপুস্তকই যেন নির্ধারণ করে দেয় কী জানতে হবে। উপরন্তু, শুধুমাত্র পাঠ্যপুস্তকের উপর নির্ভর করে জাতীয় ইতিহাস শেখানো “মাস্টার ন্যারেটিভ” তৈরি করতে পারে। এটি শিক্ষার্থীদের দেশের অতীতের বিতর্কিত দিকগুলো জানার সুযোগ সীমিত করে দেয়।<ref name="CA">Carretero, M., & van Alphen, F. (2014). Do Master Narratives Change Among High School Students? A Characterization of How National History Is Represented. Cognition and Instruction, 32(3), 290–312. http://doi.org/10.1080/07370008.2014.919298</ref> পাঠ্যপুস্তক থেকে মনোযোগ সরিয়ে দিলে, শিক্ষার্থীরা ঐতিহাসিকদের মতো করে অতীত বিশ্লেষণের ধাপ অনুসরণ করে সমালোচনামূলক চিন্তা দক্ষতা আরও ভালোভাবে উন্নয়ন করতে পারে এবং “ঐতিহাসিক গুরুত্ব সম্পর্কে যুক্তিসংগত সিদ্ধান্ত” তৈরি করতে পারে। <ref name="”S”2" /> তবে, এমনকি যদি শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক উৎস উপস্থাপন করাও হয়, তবু যদি তাদের শেখানো না হয় কেন এই নির্দিষ্ট প্রমাণ বা বিষয়গুলো নির্বাচন করা হয়েছে এবং কেন এগুলো গুরুত্বপূর্ণ, তাহলে তারা ইতিহাস গঠনে মানবিক প্রেরণার প্রভাব অনুধাবন করতে ব্যর্থ হতে পারে। বিজ্ঞানী যেভাবে “পজিটিভিস্টিক যুক্তিবাদের সংজ্ঞা” ব্যবহার করেন, ঐতিহাসিক চিন্তা তার চেয়ে ভিন্ন; এটি শিক্ষার্থীদেরকে অনুধাবন করাতে হয় তাদের নিজের প্রেরণা, শিক্ষকের বিষয় নির্বাচনের প্রেরণা, এবং অতীতের মানুষের প্রেরণা সম্পর্কে। <ref name="”Freedman2015”">Freedman, E. B. (2015). “What Happened Needs to Be Told”: Fostering Critical Historical Reasoning in the Classroom. Cognition and Instruction, 33(4), 357–398. http://doi.org/10.1080/07370008.2015.1101465</ref>
সেক্সাস ও মর্টন (২০১৩) ঐতিহাসিক গুরুত্ব নির্ধারণের দুটি উপাদান চিহ্নিত করেছেন: “আজকের জীবনে বিদ্যমান বড় ও প্রাসঙ্গিক উদ্বেগ যেমন পরিবেশগত স্থায়িত্ব, ন্যায়বিচার, ক্ষমতা, ও কল্যাণ” এবং “বিশেষ কিছু ঘটনা, বস্তু, ও ব্যক্তিত্ব যাদের ঐতিহাসিক গুরুত্ব নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে” (পৃষ্ঠা ১৬) <ref name="”S”2" /> এই দুটি উপাদানের সংযোগস্থলে ঐতিহাসিক গুরুত্ব নির্ধারিত হয়। এখানে ফ্রিডম্যান (২০১৫)-এর সমালোচনামূলক ঐতিহাসিক যুক্তির সংজ্ঞাটি যুক্ত করা প্রাসঙ্গিক। এটি আমাদের বোঝায় যে ইতিহাস অধ্যয়ন নিরপেক্ষ নয়। ইতিহাসবিদরা “তাদের অনুসন্ধান নির্ধারণ করেন তারা যে প্রশ্ন করেন ও যে তত্ত্ব ব্যবহার করেন তার মাধ্যমে” এবং তাই ইতিহাস শিক্ষার্থীদের “ঐতিহাসিক বর্ণনার সততা ও এর জোর ও উপেক্ষার ধরণ” বিশ্লেষণ করতে হয় (পৃষ্ঠা ৩৬০)। <ref name="”Freedman2015”" /> সমালোচনামূলক ঐতিহাসিক যুক্তি শিক্ষার্থীদের শেখায় তারা যে ফ্রেমটি গ্রহণ করেছে তা সম্পর্কে সচেতন হওয়া এবং এই ফ্রেমের সুবিধা ও সীমাবদ্ধতা বুঝতে পারা (পৃষ্ঠা ৩৬০)। <ref name="”Freedman2015”" /> অতএব, ইতিহাসবিদ ও ইতিহাস শিক্ষার্থীদের উভয়কেই বুঝতে হবে যে ঐতিহাসিক গুরুত্ব আরোপিত হয়, এটি অতীতের কোনো অন্তর্নিহিত গুণ নয়, এবং এটি পরিবর্তনশীল।
'''প্রমাণ'''
সেক্সাস ও মর্টন (২০১৩) বর্ণিত দ্বিতীয় দক্ষতা হলো অতীত সম্পর্কিত প্রশ্নের উত্তরে প্রমাণ ব্যবহার করা। ওয়াইনবার্গ (১৯৯১) একটি গবেষণায় উৎস নথিপত্র বিশ্লেষণে ব্যবহৃত জ্ঞানীয় প্রক্রিয়াগুলো নির্ণয় করেন এবং তিনটি কৌশলের কথা বলেন: প্রতিপাদন (মিলিয়ে দেখা), সোর্সিং (লেখক নির্ধারণ), এবং প্রাসঙ্গিকীকরণ বা প্রেক্ষাপটে স্থাপন। প্রতিপাদন মানে এক উৎসের সঙ্গে অন্যটির তুলনা করা, সোর্সিং মানে উপাত্ত পড়ার আগে লেখককে চিহ্নিত করা, এবং প্রাসঙ্গিকীকরণ মানে প্রমাণকে নির্দিষ্ট সময় ও স্থানে স্থাপন করা (পৃষ্ঠা ৭৭)। <ref name="Wa">Wineburg, S. S. (1991). Historical problem solving: A study of the cognitive processes used in the evaluation of documentary and pictorial evidence. Journal of Educational Psychology, 83(1), 73–87. http://doi.org/10.1037/0022-0663.83.1.73</ref>
এই গবেষণায় ইতিহাসবিদ ও উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে পার্থক্য তুলনা করা হয়। ওয়াইনবার্গ (১৯৯১) দেখান, ইতিহাসবিদরা সফল হয় কারণ তারা কোনো নির্দিষ্ট ঘটনা সম্পর্কে “পরিপ্রেক্ষিতভিত্তিক স্কিমা” তৈরি করে, বিজ্ঞান ও গণিতে ব্যবহৃত সাধারণ স্কিমা প্রসেসিংয়ের বিপরীতে (পৃষ্ঠা ৮৩)। <ref name="Wa" /> এছাড়াও, ইতিহাসবিদরা নথির উৎসের প্রতি শিক্ষার্থীদের চেয়ে বেশি সচেতনতা দেখিয়েছেন। এটি বোঝায় যে শিক্ষার্থীরা লেখকের পরিচয় ও উৎসের নির্ভরযোগ্যতার সম্পর্কটি বুঝতে পারেনি। ওয়াইনবার্গ বলেন, “কোনো বিবরণই মুক্তভাবে বিচ্ছিন্ন নয়, প্রতিটি বিবরণ কোনো সাক্ষীর সঙ্গে যুক্ত, এবং যদি সাক্ষী সন্দেহজনক হয়, তবে তাদের বিবরণও সন্দেহজনক” (পৃষ্ঠা ৮৪)। <ref name="Wa" /> এই গবেষণা দেখায় ইতিহাস নির্মাণে ইতিহাসবিদদের ব্যবহার করা জ্ঞানীয় কৌশল শেখানোর মাধ্যমে ঐতিহাসিক বোঝাপড়া উন্নত করা যেতে পারে।
অতীত সম্পর্কে একাধিক বর্ণনা থাকতে পারে। কারণ প্রত্যেকে তার নিজস্ব মূল্যবোধ ও অভিজ্ঞতা অনুযায়ী ইতিহাস ব্যাখ্যা করে। এটি স্বীকৃতি দিলে শিক্ষার্থীরা সাধারণ ইতিহাসের উপস্থাপনায় সন্তুষ্ট না থেকে একটি সমালোচনামূলক দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করতে পারে। ফ্রিডম্যান (২০১৫)-এর ভিয়েতনাম যুদ্ধ সংক্রান্ত গবেষণায় দেখা যায় যে প্রাথমিক উৎস বিশ্লেষণের মাধ্যমে এবং পাঠ্যপুস্তকের সাথে তুলনা করে শিক্ষার্থীরা বুঝতে পারে তারা কিভাবে ইতিহাস “ফ্রেম” করে। <ref name="”Freedman”">Freedman, E. B. (2015). “What Happened Needs to Be Told”: Fostering Critical Historical Reasoning in the Classroom. Cognition and Instruction, 33(4), 357–398. http://doi.org/10.1080/07370008.2015.1101465</ref> শিক্ষার্থীদের যদি প্রমাণভিত্তিক ব্যাখ্যা তৈরি করার স্বাধীনতা দেওয়া হয়, তাহলে ইতিহাসকে একটি স্থির জ্ঞানভান্ডার হিসেবে না দেখে তারা এটি বিশ্লেষণমূলকভাবে চিন্তা করতে শিখবে।
'''ধারাবাহিকতা ও পরিবর্তন'''
ধারাবাহিকতা ও পরিবর্তনের ধারণা গড়ে তুলতে হলে শিক্ষার্থীদের বুঝতে হবে ইতিহাসের ধারাবাহিকতায় এই দুটি উপাদান একসঙ্গে থাকে; কিছু জিনিস পরিবর্তিত হয়, আবার কিছু একই রকম থাকে। শিক্ষার্থীরা যদি নিজেদের জীবনে এই দুটি উপাদান চিহ্নিত করতে পারে, তাহলে তারা ইতিহাস অধ্যয়নে তা প্রয়োগ করতে পারবে। <ref name="S">Seixas, P., Morton, T., Colyer, J., & Fornazzari, S. (2013). The Big Six: Historical thinking Concepts. Toronto: Nelson Education.</ref> শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করা উচিত ইতিহাসের পরিবর্তনের গতি ও গভীরতা ব্যাখ্যা করতে এবং এটি অগ্রগতি না পতনের নিদর্শন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে।<ref name="S" /> ইতিহাসের পরিবর্তন ইতিবাচক না নেতিবাচক তা মূল্যায়ন সম্পূর্ণরূপে দর্শকের দৃষ্টিভঙ্গির উপর নির্ভর করে।
একটি উদাহরণ হলো সংস্কৃতি ও জাতীয় পরিচয়ের ধারাবাহিকতা। ক্যারেটেরো ও ভ্যান আলফেন (২০১৪) আর্জেন্টিনার উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে “মাস্টার ন্যারেটিভ” বিশ্লেষণ করে দেখান কিভাবে পরিচয় ইতিহাস শিক্ষায় সহায়ক হলেও অতীত ও বর্তমান গুলিয়ে ফেলতে পারে, যেমন বিজয়ী যুদ্ধ বা বিপ্লবের ক্ষেত্রে “আমরা” শব্দ ব্যবহার করা যা একটি জাতি গঠনে ভূমিকা রেখেছে (পৃষ্ঠা ৩০৮-৩০৯)। <ref name="CA" /> তাই শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সময় পর্ব চিহ্নিত করতে শেখানো জরুরি। তবে, '''ইতিহাসের পর্যায় বিভাজন''' নিজেই একটি ব্যাখ্যামূলক কাজ এবং এটি ইতিহাসবিদদের করা প্রশ্নের উপর নির্ভর করে। <ref name="S" />
শিক্ষায় প্রযুক্তির ব্যবহার, যেমন ইন্টারঅ্যাকটিভ টাইমলাইন, ইতিহাসভিত্তিক গেমস এবং অনলাইন আলোচনা, শিক্ষার্থীদের অতীত ও বর্তমানের মধ্যে সংযোগ গড়ে তুলতে সাহায্য করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, কানাডার মেডিকেয়ার বিষয়ে সভ্যতার জাদুঘর একটি ইন্টারঅ্যাকটিভ শিক্ষণ সরঞ্জাম সরবরাহ করে (http://www.museedelhistoire.ca/cmc/exhibitions/hist/medicare/medic01e.shtml)। ইন্টারঅ্যাকটিভ টাইমলাইন শিক্ষার্থীদের ধারাবাহিকতা, পরিবর্তন। কারণ ও পরিণতির মধ্যে সংযোগ দেখতে সহায়তা করে। এছাড়াও, শক্তিশালী অনুসন্ধানমূলক প্রশ্নের মাধ্যমে টাইমলাইনের নির্দেশনা দিলে শিক্ষার্থীদের বোঝাপড়া আরও গভীর হতে পারে এবং ঐতিহাসিক চিন্তা দক্ষতা বিকাশে সহায়তা করে।
উদাহরণস্বরূপ, ইউরোপীয় রেনেসাঁ সম্পর্কে একটি অনুসন্ধান নিম্নোক্ত প্রশ্ন দ্বারা পরিচালিত হতে পারে: “ইউরোপের সকলেই কি রেনেসাঁকে একইভাবে অভিজ্ঞতা করেছে?” এই ধরনের প্রশ্ন খোলা-প্রান্তিক হয় যাতে শিক্ষার্থীদের অনুসন্ধানকে নির্দিষ্ট পথে সীমাবদ্ধ না করে, বরং রেনেসাঁর পরিবর্তন এবং ইউরোপীয় সমাজের ধারাবাহিকতার মধ্যে একটি সম্পর্ক নির্দেশ করে। ঐতিহাসিক চিন্তাকে সহায়তা করার জন্য শিক্ষাগত প্রযুক্তির অন্যান্য উদাহরণগুলোর মধ্যে “''ওয়ার্ল্ড হিস্ট্রি ফর অল অফ আস''” (''আমাদের সকলের জন্য বিশ্ব ইতিহাস'' ''-'' [http://worldhistoryforusall.sdsu.edu/ http://worldhistoryforusall.এসডিsu.edu/]) প্রকল্প অন্তর্ভুক্ত। এই ওয়েবসাইটটি বিশ্ব ইতিহাসের ইউনিটগুলোকে বৃহৎ পরিসর এবং স্থানীয় পর্যায়ে ভাগ করেছে এবং তা ঐতিহাসিক সময়কাল অনুসারে সংগঠিত। পাঠ পরিকল্পনা এবং সংস্থানগুলো শিক্ষার্থীদের স্থানীয় ইস্যু ও বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটের মধ্যে সংযোগ স্থাপনে সহায়তা করতে পারে। এটি বিশ্ব ইতিহাসকে প্রভাবিত করে। অবশেষে, ব্ল্যাকেনশিপ (২০০৯) এর একটি কেস স্টাডি প্রস্তাব করে অনলাইন আলোচনা গোষ্ঠীগুলি সমালোচনামূলক চিন্তন বিকাশে উপকারী। কারণ এগুলোর মাধ্যমে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের চিন্তার প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করতে পারেন এবং ফলস্বরূপ, গঠনমূলক মূল্যায়ন ও প্রয়োজনীয় শিক্ষণ হস্তক্ষেপের ধরন নির্ধারণে সহায়তা পান। ব্ল্যাকেনশিপ (২০০৯) আরও গবেষণার উল্লেখ করেন যা অনলাইন আলোচনার পক্ষে যুক্তি দেয়। কারণ এতে শিক্ষার্থীরা আলোচনার আগে তাদের চিন্তা সংগঠিত করতে পারে; এতে তাদের পূর্ববর্তী জ্ঞান কাজে লাগাতে এবং নিজের ধারণা বিবেচনা করার জন্য বেশি সময় পাওয়া যায়। <ref>Blackenship, W. (2009). Making connections: Using online discussion forums to engage students in historical inquiry. Social Education, 73(3), 127-130.</ref>
'''কারণ ও পরিণতি'''
ঐতিহাসিক চিন্তার দক্ষতা হিসেবে কারণ ও পরিণতির ধারণা শিক্ষার্থীদেরকে ঐতিহাসিক ঘটনাবলীর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কারণ এবং তার তাৎক্ষণিক ও দীর্ঘমেয়াদি পরিণতি চিহ্নিত করতে পারার দক্ষতা অর্জনে সহায়তা করে। ঐতিহাসিক পরিবর্তনের কারণগুলি বোঝার জন্য ব্যক্তির কর্মকাণ্ড ও সেই সময়ের প্রচলিত পরিস্থিতি উভয়কেই স্বীকৃতি দেওয়া প্রয়োজন। ঐতিহাসিক চিন্তা শিক্ষার্থীদেরকে সরল, তাৎক্ষণিক কারণের বাইরে গিয়ে ইতিহাসকে “পারস্পরিকভাবে সংযুক্ত কারণ ও পরিণতির একটি জাল” হিসেবে ভাবতে শেখায়। এটির প্রতিটির উপর বিভিন্ন প্রভাব রয়েছে (পৃষ্ঠা ১১০)। <ref name="S2" /> অতীতকে আরও ভালভাবে বোঝার পাশাপাশি, এই দক্ষতাগুলি শিক্ষার্থীদের বর্তমানের দ্বন্দ্ব ও সমস্যাগুলো বোঝতেও সহায়তা করতে পারে। শ্রেইনার (২০১৪) নবীন/বিশেষজ্ঞ বিন্যাস ব্যবহার করে যাচাই করেন কীভাবে মানুষ ইতিহাসের জ্ঞান ব্যবহার করে বর্তমান ঘটনার বিষয়ে যুক্তিসঙ্গত সিদ্ধান্তে পৌঁছায়। উপরে উল্লিখিত ওয়াইনবার্গ (১৯৯১) গবেষণার অনুরূপভাবে, শ্রেইনার (২০১৪) দেখতে পান যে বিশেষজ্ঞরা প্রেক্ষাপট স্থাপন এবং উৎস বিশ্লেষণে বেশি দক্ষ। এটি তাদেরকে দলিলের নির্ভরযোগ্যতা ও ব্যবহারিকতা যাচাই করে যুক্তিসঙ্গত রায়ে পৌঁছাতে সাহায্য করে। এছাড়াও, গবেষণায় দেখা যায় যে শিক্ষার্থীরা অর্থ নির্মাণে বর্ণনা ব্যবহার করে, তবে তারা সাধারণত “স্কিমেটিক ন্যারেটিভ টেমপ্লেট” তৈরি করে। এটি অতীত সম্পর্কে সাধারণ বিবৃতি দেয় কিন্তু নির্দিষ্ট তথ্য ও ঘটনা থাকে না। <ref>Shreiner, T. L. (2014). Using Historical Knowledge to Reason About Contemporary Political Issues: An Expert–Novice Study. Cognition and Instruction, 32(4), 313–352. http://doi.org/10.1080/07370008.2014.948680</ref> সেইক্সাস ও মর্টন (২০১৩) অতিসরলেখ টাইমলাইন ব্যবহারে সাবধান করে দেন কারণ এতে ইতিহাসকে বিচ্ছিন্ন ঘটনাবলীর একটি তালিকা মনে হতে পারে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ঐতিহাসিক বর্ণনা যা সময়কালভিত্তিক এবং কারণ-পরিণতি সম্পর্কযুক্ত, সেইসাথে সময়ের সাথে পরিবর্তন অন্তর্ভুক্ত করে, তা বর্তমান ইস্যু বোঝার জন্য সহায়ক।<ref name="S2" /> সুতরাং, শিক্ষকদের উচিত শিক্ষার্থীদের মধ্যে এই দক্ষতাগুলির বিকাশ ঘটানো। ঐতিহাসিক পরিবর্তনের মতোই, ইতিহাসের কিছু কর্মকাণ্ডের পরিণতি বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি অনুযায়ী ইতিবাচক বা নেতিবাচক হিসেবে দেখা যেতে পারে। এটি নিচে আরও বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হবে।
'''ঐতিহাসিক দৃষ্টিভঙ্গি ও নৈতিকতা'''
সেইক্সাস ও মর্টনের প্রস্তাবিত চূড়ান্ত দুটি ঐতিহাসিক চিন্তার দক্ষতা হলো ঐতিহাসিক দৃষ্টিভঙ্গি ও নৈতিকতা। ঐতিহাসিক দৃষ্টিভঙ্গি বলতে ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট বিশ্লেষণ বোঝায়। এটি একটি ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্বকে কোনো ঘটনা বা কর্মকাণ্ড নির্দিষ্টভাবে দেখাতে বা কাজ করতে প্রভাবিত করে। এতে অন্তর্ভুক্ত হতে পারে ধর্মীয় বিশ্বাস, সামাজিক অবস্থান, ভৌগোলিক অবস্থান, সময়কাল, প্রচলিত অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং সামাজিক/সাংস্কৃতিক অবস্থা। এখানে প্রমাণ ব্যাখ্যার প্রয়োজন হয় কারণ প্রায়শই আমাদের কাছে এমন তথ্য থাকে না যা সরাসরি কোনো ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্বের মনোভাব বা কার্যকারণের কারণ ব্যাখ্যা করে। প্রাথমিক উৎস দলিল, যেমন চিঠি বা ডায়েরি, কিছুটা ধারণা দিতে পারে, কিন্তু তবুও ঐতিহাসিকদেরকে তথ্যগুলো ব্যাখ্যা করে তা বৃহত্তর ঐতিহাসিক বর্ণনা বা কোনো ব্যক্তির জীবনীচিত্রে সংযুক্ত করতে হয়। পাশাপাশি, “কঠোর পরিসংখ্যান, যেমন জন্ম ও মৃত্যুহার, বিবাহের গড় বয়স, সাক্ষরতার হার, এবং পরিবারের আকার... এগুলো আমাদের মানুষের অভিজ্ঞতা, চিন্তা ও অনুভূতি সম্পর্কে ধারণা করতে সহায়তা করে” (পৃষ্ঠা ১৪৩)। <ref name="S2" /> অবশ্যই, অতীত সম্পর্কে আমাদের অনুমান করার সীমাবদ্ধতা রয়েছে; তবে সেইক্সাস ও মর্টন (২০১৩) প্রস্তাব করেন, অতীত সম্পর্কে আমরা কী জানি না, তা স্বীকার করাও “সুস্থ ঐতিহাসিক চিন্তার” অংশ (পৃষ্ঠা ১৪৩)। <ref name="S2" /> শিক্ষার্থীরা অতীত ও বর্তমান জীবনধারা ও দৃষ্টিভঙ্গির পার্থক্য পর্যবেক্ষণ করে, যেসব মানবিক বৈশিষ্ট্য সময় অতিক্রম করে বিদ্যমান থাকে (যেমন সন্তানের প্রতি ভালোবাসা), তা চিহ্নিত করে এবং '''বর্তমানতাবাদ''' ও '''কালগত ভুল''' এড়িয়ে ঐতিহাসিক দৃষ্টিভঙ্গি অনুশীলন করতে পারে। <ref name="S2" /> ঐতিহাসিক দৃষ্টিভঙ্গির গভীরতর বোঝাপড়া শিক্ষার্থীদের সহায়তা করবে যখন তারা বিরোধপূর্ণ ঐতিহাসিক ব্যাখ্যার মুখোমুখি হবে। কারণ তারা দেখতে পারবে ঐতিহাসিক ব্যক্তিরা কোন প্রেক্ষাপট থেকে এসেছে এবং সে অনুযায়ী তাদের কর্মকাণ্ড বুঝতে পারবে। ঐতিহাসিক দৃষ্টিভঙ্গি ও নৈতিকতা একে অপরের সাথে সম্পর্কযুক্ত। সেইক্সাস ও মর্টন (২০১৩) যুক্তি দেন, “ঐতিহাসিক চিন্তার নৈতিক মাত্রা ইতিহাস অধ্যয়নে অর্থ প্রদান করে” (পৃষ্ঠা ১৭০)। <ref name="S2" /> কোনো ব্যক্তির কর্মকাণ্ডের নৈতিক কারণ বোঝার জন্য আমাদের ঐতিহাসিক, ভৌগোলিক ও সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপটের প্রভাব বুঝতে হয়। পাশাপাশি, অতীতের নৈতিক পরিণতি বোঝার জন্য আমাদের নৈতিক মূল্যায়ন করতে হয়। এটি “সহানুভূতিশীল বোঝাপড়া [চাই]; তাদের ও আমাদের নৈতিক জগতের পার্থক্য বোঝা” (সিক্সাস এবং পেক, ২০০৪, পৃষ্ঠা ১১৩)। <ref>Seixas, P., & Peck, C. (2004). Teaching Historical Thinking. Challenges and Prospects for Canadian Social Studies, 109–117.</ref> ঐতিহাসিক চিন্তার অভিজ্ঞতা কম থাকলে শিক্ষার্থীরা বর্তমান সমাজের নৈতিক মানদণ্ড থেকে অতীতকে আলাদা করে ভাবতে পারে না। এছাড়াও, শিক্ষার্থীরা প্রায়শই অন্যান্য সংস্কৃতিকে নিজেদের সংস্কৃতির তুলনায় বেশি সমালোচনামূলক দৃষ্টিতে দেখে; অনেক সময় নিজেদের জাতির কর্মকাণ্ডকে সমর্থন বা যৌক্তিকতা দেয়। <ref name="L">Lopez, C., Carretero, M., & Rodriguez-Moneo, M. (2014). Telling a national narrative that is not your own. Does it enable critical historical consumption? Culture & Psychology , 20 (4 ), 547–571. http://doi.org/10.1177/1354067X14554156</ref> তাই, লোপেজ, কারেতেরো এবং রদ্রিগেজ-মোনেও (২০১৪) প্রস্তাব করেন, শিক্ষার্থীদের নিজেদের দেশের বাইরে অন্য জাতির জাতীয় বর্ণনা বিশ্লেষণে ব্যবহার করলে সমালোচনামূলক ঐতিহাসিক চিন্তা আরও কার্যকরভাবে বিকাশ লাভ করে। যখন শিক্ষার্থীরা অতীতের নৈতিক সিদ্ধান্ত বিশ্লেষণে দক্ষ হয়, তখন তারা এই দক্ষতা বর্তমান সময়ের নৈতিক প্রশ্ন বিশ্লেষণে প্রয়োগ করতে পারে। ভূমিকাভিত্তিক অভিনয় ঐতিহাসিক দৃষ্টিভঙ্গি শেখানোর একটি কার্যকর শিক্ষণ কৌশল। ঐতিহ্যগত, সামনাসামনি শ্রেণিকক্ষে নাট্যভিত্তিক ভূমিকা পালন, বিতর্ক এবং মক ট্রায়াল পরিচালনা করা যায় যেখানে শিক্ষার্থীরা ইতিহাসের কোনো ব্যক্তি বা সামাজিক গোষ্ঠীর ভূমিকায় অভিনয় করতে পারে। এছাড়াও, শিক্ষামূলক গেম এবং ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এই কৌশলের সাথে প্রযুক্তির একত্রীকরণ করা যায়। হুইটওয়ার্থ ও বারসন (২০০৩) দেখতে পান যে ১৯৯০-২০০০ এর দশকে সামাজিক বিজ্ঞানের শ্রেণিকক্ষে প্রযুক্তি মূলত ইন্টারনেটকে শ্রেণিকক্ষে ব্যবহৃত উপকরণের ডিজিটাল সংস্করণ হিসেবে ব্যবহারে সীমাবদ্ধ ছিল। তারা প্রস্তাব করেন, প্রযুক্তির বিকল্প ব্যবহার—যেমন অনুসন্ধানভিত্তিক ওয়েবকোয়েস্ট, সিমুলেশন, এবং সহযোগিতামূলক কর্মপরিবেশ—শিক্ষার্থীদের মধ্যে পারস্পরিক যোগাযোগ ও সমালোচনামূলক চিন্তন দক্ষতা বাড়ায়। <ref>Whitworth, S. A., & Berson, M. J. (2003). Computer technology in the social studies: An examination of the effectiveness literature (1996-2001). Contemporary Issues in Technology and Teacher Education [Online serial], 2(4). Retrieved from http://www.citejournal.org/volume-2/issue-4-02/social-studies/computer-technology-in-the-social-studies-an-examination-of-the-effectiveness-literature-1996-2001</ref> ভূমিকা-ভিত্তিক চিন্তা উন্নয়নে সহায়ক শিক্ষণ উপকরণের একটি উদাহরণ হলো মুসে-ম্যাককর্ড-এর অনলাইন গেম সংগ্রহ (http://www.mccord-museum.qc.ca/en/keys/games/)। বিশেষভাবে, ভিক্টোরিয়ান যুগ এবং গর্জে ওঠা বিশের দশকের গেমগুলো শিক্ষার্থীদের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে উপযুক্ত সিদ্ধান্ত নিতে এবং সেই সময়কাল অতিক্রম করতে সহায়তা করে। এই গেমগুলো জাদুঘরের সংশ্লিষ্ট সংস্থানগুলোর সাথে সংযুক্ত। এটি শিক্ষার্থীদের ঐতিহাসিক সময়কাল সম্পর্কে গভীরতর বোঝাপড়া গড়ে তুলতে পারে। ইতিহাসের নৈতিক উপাদান শেখাতে ঐতিহাসিক বর্ণনা, ঐতিহাসিক ঘটনাবলীর উপর নৈতিক অবস্থান নিয়ে বিতর্ক এবং গৌণ তথ্যসূত্র বিশ্লেষণের কৌশল ব্যবহার করা যেতে পারে।
সারাংশে, পেশাদার ঐতিহাসিকদের ইতিহাস অধ্যয়নের কৌশল শিক্ষার্থীদের মধ্যে ঐতিহাসিক চিন্তা উন্নয়নে সহায়ক বলে বিবেচিত হয়। পেশাদার ঐতিহাসিকদের প্রমাণ মিলিয়ে দেখা, উৎস বিশ্লেষণ, এবং ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট প্রতিষ্ঠার মত জ্ঞানীয় প্রক্রিয়াগুলি সেইক্সাস ও মর্টনের ''দ্য বিগ সিক্স হিস্ট্রিকাল থিংকিং কনসেপ্ট'' (''ছয়টি বড় ঐতিহাসিক চিন্তাভাবনার ধারণা'' - ২০১৩)-এ প্রতিফলিত হয়েছে। ঐতিহাসিক চিন্তা শিক্ষার্থীদের সমস্যা সমাধানের দক্ষতা দেয়। এটি তাদের অতীত বোঝার পাশাপাশি বর্তমানের সাথে যুক্ত করে, তাদের দৃষ্টিভঙ্গিকে প্রসারিত করে, প্রচলিত সামাজিক অবস্থাগুলো উপলব্ধি করতে এবং পৃথিবীর সাথে তাদের সম্পর্ক গঠনে প্রভাব ফেলে। ঐতিহাসিক চিন্তা প্রকল্পের ওয়েবপেজ (http://historicalthinking.ca/lessons) এ সমস্ত ঐতিহাসিক দক্ষতার জন্য শিক্ষণ কৌশল দেখা যাবে।
== অ্যাকাডেমিক বিতর্কের মাধ্যমে শিক্ষা ==
''[[চিন্তন ও নির্দেশনা/সমস্যা সমাধান, সমালোচনামূলক চিন্তন ও যুক্তি#glos অ্যাকাডেমিক বিতর্ক|অ্যাকাডেমিক বিতর্কের]]'' পদ্ধতি ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের বিতর্ক ও সমালোচনামূলক চিন্তার দক্ষতা শেখানো একটি কার্যকর উপায় হতে পারে। অ্যাকাডেমিক বিতর্কে চারজনের একটি সহযোগিতামূলক দলকে দুটি জোড়ায় ভাগ করে একটি বিতর্ক বা বিষয়ে বিপরীত অবস্থান দেওয়া হয়, এরপর উভয় জোড়া তাদের নির্ধারিত অবস্থানের পক্ষে যুক্তি দেয়। তারপর তারা তাদের অবস্থান পরিবর্তন করে আবার যুক্তি উপস্থাপন করে, এবং অবশেষে, চারজনের দলটি মিলে একটি সর্বজনীন সমাধানে পৌঁছায় <ref>Johnson, D. W., & Johnson, R. T. (1993). Creative and critical thinking through academic controversy. The American Behavioral Scientist, 37(1), 40-53. Retrieved from https://www.proquest.com/docview/1306753602</ref>। এই কার্যক্রম বিতর্ক ও সমালোচনামূলক চিন্তার উভয় দিক শেখাতে কার্যকর হতে পারে, যদিও এটি কিছুটা পুরনো হতে পারে। কার্যক্রমটি স্বভাবতই বিতর্কমূলক। কারণ শিক্ষার্থীদের দুটি ভিন্ন অবস্থানের জন্য যুক্তি ও দাবির উদ্ভাবন করতে হয়। এই ভারসাম্য বিতর্কের প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটি শিক্ষার্থীদের তাদের নিজস্ব যুক্তি ও বিপক্ষের যুক্তি মূল্যায়নের সুযোগ দেয়। এটি যেকোনো বিতর্কে উপকারী হতে পারে। এছাড়াও, এই কার্যক্রম শিক্ষার্থীদের সমালোচনামূলক চিন্তার কয়েকটি দিক যেমন মূল্যায়ন, যুক্তিবোধ, এবং আত্মপর্যালোচনার সাথে যুক্ত করে। কারণ শিক্ষার্থীদের একটি সমন্বিত সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে হয়। এটি তাদের বিশ্লেষণাত্মক ও উদার মানসিকতা চর্চা করতে বাধ্য করে। এই কার্যক্রম শিক্ষার্থীদের উন্মুক্ত মন ও বিশ্লেষণাত্মক বিতর্কে অংশগ্রহণে উৎসাহিত করে। এটি সমালোচনামূলক চিন্তা ও বিতর্ক দক্ষতা বৃদ্ধিতে সহায়ক।
= শব্দকোষ =
; অ্যাকাডেমিক বিতর্ক
: একটি দ্বি-রাউন্ড বিতর্ক প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে ৪ জনের একটি সমবায় গ্রুপ বিরোধী জোড়ায় বিভক্ত হয় যা একটি বিতর্কে জড়িত। প্রতিটি জুটি তাদের নিজস্ব অবস্থানের জন্য যুক্তি দেয় এবং পরবর্তী রাউন্ডে বিরোধী অবস্থানে স্যুইচ করে।
; অ্যালগরিদম
: পদ্ধতিগুলো নির্দিষ্ট সমস্যাগুলোতে প্রয়োগ করা যেতে পারে যা সঠিকভাবে কার্যকর করা হলে সঠিক উত্তরের নিশ্চয়তা দেয়।
; অ্যানাক্রোনিজম
: এক সময়কালের বৈশিষ্ট্য বা ঘটনাকে অন্য সময়কালের জন্য দায়ী করা।
; বিশ্লেষণ
: আরও অনুমান এবং ব্যাখ্যার অনুমতি দেওয়ার জন্য প্রাসঙ্গিক তথ্য সনাক্তকরণ এবং নির্বাচন।
; যুক্তিতর্ক
: কোনও দাবি বা ধারণাকে সমর্থন বা খণ্ডন করার জন্য যুক্তি ব্যবহার করার প্রক্রিয়া।
; ক্রিটিক্যাল থিংকিং
: তথ্য ওজন, মূল্যায়ন এবং বোঝার সমন্বয়ে একটি প্রতিফলিত চিন্তাভাবনা
; ছাড়
: এক ধরণের যুক্তি যেখানে সাধারণ থেকে নির্দিষ্ট সিদ্ধান্তগুলো তৈরি করা হয়, প্রদত্ত তথ্য
; বর্ণনামূলক মডেল
: একটি নির্দেশমূলক পদ্ধতি যা ব্যাখ্যা করে কীভাবে ভাল চিন্তাভাবনা ঘটে।
; নকশা চিন্তাভাবনা
: শিক্ষার্থী কেন্দ্রিক শিক্ষা একটি বাস্তব-বিশ্বের সমস্যার সমাধান খুঁজে বের করার সাথে জড়িত।
; সরাসরি নির্দেশনা
: একটি গাইডেড লার্নিং পদ্ধতি যা সরাসরি জ্ঞানীয় দক্ষতা শেখায় এবং জ্ঞান স্পষ্টভাবে শিক্ষক থেকে শিক্ষার্থীর কাছে প্রেরণ করা জড়িত।
; স্বভাব [সমালোচনামূলক চিন্তার জন্য]
: বুদ্ধিবৃত্তিক আচরণে জড়িত হওয়ার জন্য একটি ঝোঁক, এই ধরনের আচরণগুলো জড়িত হতে পারে এমন সুযোগগুলোর প্রতি সংবেদনশীলতা এবং সমালোচনামূলক চিন্তনয় জড়িত হওয়ার জন্য একটি সাধারণ ক্ষমতা সহ সচেতনভাবে একটি দক্ষতা চয়ন করার ক্ষমতা।
; ডাইভারজেন্ট থিংকিং
: একাধিক এবং বৈচিত্র্যময় সমাধানের প্রজন্ম এবং পরীক্ষার দ্বারা চিহ্নিত চিন্তাভাবনা।
; ডোমেন নির্দিষ্ট জ্ঞান
: একটি বিশেষ এলাকা বা ক্ষেত্রের জ্ঞান।
; জ্ঞানতাত্ত্বিক বিশ্বাস
: প্রকৃতি ও জ্ঞান অর্জন সম্পর্কে বিশ্বাস।
; মূল্যায়ন
: বিশ্লেষণ, বিচার এবং ওজন করার উপ দক্ষতার জন্য একটি ছাতা শব্দ
; কার্যকরী স্থিরতা
: একটি পক্ষপাত যা কোনও ব্যক্তিকে কেবলমাত্র দৈনন্দিন জীবনে যেভাবে ব্যবহৃত হয় সেভাবে কোনও বস্তু ব্যবহার করতে সীমাবদ্ধ করে।
; অসুস্থ-সংজ্ঞায়িত সমস্যা
: যে সমস্যাগুলোর একটি সুস্পষ্ট লক্ষ্য, সমাধানের পথ বা প্রত্যাশিত উত্তর নেই।
; পরোক্ষ নির্দেশনা
: শিক্ষার্থী কীভাবে শেখানো উপাদানকে ব্যাখ্যা করে তার উপর জোর দিয়ে উপাদানগুলোর শিক্ষার্থী-ভিত্তিক নির্দেশনা
; আনয়ন
: এক ধরণের যুক্তি যেখানে নির্দিষ্ট তথ্য থেকে সাধারণ সিদ্ধান্তে আসা হয়
; অনুমান
: জ্ঞানের দুটি ইউনিটের মধ্যে এক ধরণের সংযোগ বা সমিতি
; অনুসন্ধান ভিত্তিক নির্দেশনা
: ন্যূনতম নির্দেশিত শিক্ষার একটি ফর্ম যা শিক্ষার্থীদের উপকরণগুলোর নিজস্ব বোঝার তৈরি করতে দেয়।
; জ্ঞান
: একজনের কাছে যে তথ্য রয়েছে, এর মধ্যে পরিচিত তথ্যের মধ্যে সংযোগ এবং সমিতি অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে
; মেটাকগনিশন
: জ্ঞান মানুষের নিজস্ব চিন্তা সম্পর্কে থাকে।
; পর্যায়ক্রম
: অতীতকে সময়ের স্বতন্ত্র ব্লকে শ্রেণিবদ্ধ করা (সময়কাল)।
; প্রেসক্রিপশন মডেল
: একটি নির্দেশমূলক পদ্ধতি যা ভাল চিন্তাভাবনার মানদণ্ড এবং বৈশিষ্ট্যগুলো ব্যাখ্যা করে
; উপস্থাপনবাদ
: বর্তমান সময়ের মূল্যবোধ এবং ধারণাগুলো ব্যবহার করে অতীতের ঘটনাগুলো ব্যাখ্যা করার প্রবণতা।
; সমস্যা ভিত্তিক শিক্ষা
: একটি ছাত্র-কেন্দ্রিক পদ্ধতি যেখানে শিক্ষার্থীরা একটি উন্মুক্ত সমস্যা বা প্রশ্ন সমাধানের অভিজ্ঞতার মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট বিষয় সম্পর্কে শিখতে পারে।
; সমস্যা উপস্থাপনা
: সমস্যা সমাধানকারীদের সমস্যাটি আরও ভালভাবে কল্পনা করার অনুমতি দেয় এবং এইভাবে তাদের সমাধানে পৌঁছাতে সহায়তা করে।
; সমস্যা সমাধান
: কগনিটিভ প্রসেসিং 'একটি লক্ষ্য অর্জনের জন্য ব্যবহৃত হয় যখন সমাধানকারীর কাছে কোনও সমাধান স্পষ্ট হয় না।
; উৎপাদন
: তর্কের প্রজন্ম
; প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা
: একটি ছাত্র-কেন্দ্রিক পদ্ধতি যেখানে শিক্ষার্থী একটি নির্দিষ্ট নকশা প্রক্রিয়ার মাধ্যমে একটি জটিল চ্যালেঞ্জের প্রতিক্রিয়া জানায়।
; স্ব-নিয়ন্ত্রণ
: নিজের শেখার ক্ষেত্রে মেটাকগনিটিভ, আচরণগতভাবে এবং অনুপ্রেরণামূলকভাবে সক্রিয় হওয়ার প্রক্রিয়া
; দক্ষতা কর্মসূচী
: সমস্যা সমাধানের মতো বিকল্প শিক্ষণ পদ্ধতির মাধ্যমে সিটি দক্ষতার বিকাশের সুবিধার্থে নকশা করা শিক্ষামূলক পাঠ্যক্রম
; সুসংজ্ঞায়িত সমস্যা
: যে সমস্যাগুলোর একটি সুস্পষ্ট লক্ষ্য, সমাধানের পথ বা প্রত্যাশিত উত্তর নেই।
= প্রস্তাবিত পাঠ =
# আব্রামি, পি.সি., বার্নার্ড, আর.এম., বোরোখভস্কি, ই., ওয়েড, এ., সার্কস, এম.এ., তামিম, আর., এবং ঝাং, ডি (২০০৮)। সমালোচনামূলক চিন্তন দক্ষতা এবং স্বভাবগুলোকে প্রভাবিত করে এমন নির্দেশমূলক হস্তক্ষেপ: একটি পর্যায় ১ মেটা-বিশ্লেষণ। শিক্ষাগত গবেষণা পর্যালোচনা, ৭৮ (৪)। ১১০২-১১৩৪. ডিওআই: ১০.৩১০২ / ০০৩৪৬৫৪৩০৮৩২৬০৮৪।
# Phan, H.P. (২০১০)। শিক্ষণ এবং শেখার ক্ষেত্রে একটি স্ব-নিয়ন্ত্রক প্রক্রিয়া উপাদান হিসাবে সমালোচনামূলক চিন্তন। সাইকোথেমা, ২২ (২)। ২৮৪-২৯২.
# Kozulin, A. & Presseisen, B.Z. (১৯৯৫)। মধ্যস্থতা শেখার অভিজ্ঞতা এবং মনস্তাত্ত্বিক সরঞ্জাম: শিক্ষার্থী শেখার একটি গবেষণায় ভাইগটস্কি এবং ফয়েরস্টাইনের দৃষ্টিভঙ্গি। শিক্ষাগত মনোবিজ্ঞানী, ৩০ (২), ৬৭-৭৫।
# Crowell, A., & Kuhn, D. (২০১১)। তরুণ কিশোর-কিশোরীদের চিন্তাভাবনা বিকাশের বাহন হিসাবে সংলাপমূলক যুক্তি। মনস্তাত্ত্বিক বিজ্ঞান, ২২ (৪), ৫৪৫-৫৫২। ডিওআই: ১০.১১৭৭ / ০৯৫৬৭৯৭৬১১৪০২৫১২।
== বহিঃসংযোগ ==
845qcvm0w10tl8vha10ji3056n817va
85828
85805
2025-07-08T08:58:30Z
MS Sakib
6561
85828
wikitext
text/x-wiki
আমরা প্রতিনিয়ত এমন বহু অস্পষ্টতা, মিথ্যা তথ্য, চ্যালেঞ্জ কিংবা পরিস্থিতির মুখোমুখি হই যা আমাদের ''[[চিন্তন ও নির্দেশনা/সমস্যা সমাধান, সমালোচনামূলক চিন্তন ও যুক্তি#শব্দকোষ সমালোচনামূলক চিন্তন|সমালোচনামূলক চিন্তন]],'' ''[[চিন্তন ও নির্দেশনা/সমস্যা সমাধান, সমালোচনামূলক চিন্তন ও যুক্তি#শব্দকোষ সমস্যা সমাধানের দক্ষতা|সমস্যা সমাধানের দক্ষতা]]'', এবং ''[[চিন্তন ও নির্দেশনা/সমস্যা সমাধান, সমালোচনামূলক চিন্তন ও যুক্তি#শব্দকোষ যুক্তি প্রদর্শনের দক্ষতা|যুক্তি প্রদর্শনের দক্ষতা]]'' প্রয়োগের দাবি রাখে। যদিও এই তিনটি শব্দ প্রায়ই একে অপরের পরিবর্তে ব্যবহার করা হয়, তবে এগুলোর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য রয়েছে। সমালোচনামূলক চিন্তন আমাদের পাঁচটি ইন্দ্রিয়ের মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্যের সাথে সক্রিয়ভাবে যুক্ত হতে এবং সেসব তথ্য নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা করতে সক্ষম করে। এটি আমাদের জ্ঞান বিশ্লেষণ, সমালোচনা, প্রয়োগ এবং নতুন ধারণা তৈরির ক্ষমতা প্রদান করে। সমালোচনামূলক চিন্তনকে সমস্যার সমাধান ও যুক্তি প্রদর্শনের একটি বিস্তৃত জ্ঞানগত দক্ষতা হিসেবে ধরা যায়। সমালোচনামূলক চিন্তনের মাধ্যমে আমরা কিছু যৌক্তিক সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারি, তবে সবসময় একটি নির্দিষ্ট 'সঠিক' ধারণা থাকে না। যা আমাদের কাছে 'সঠিক' মনে হয়, তা প্রায়ই খুবই বিষয়ভিত্তিক।
সমস্যা সমাধান হচ্ছে সমালোচনামূলক চিন্তনের একটি রূপ। এখানে শিক্ষার্থীদের এমন সিদ্ধান্ত নিতে হয়। এটি একটি নির্দিষ্ট সঠিক উত্তরের পরিবর্তে সম্ভাব্য সেরা সমাধান খুঁজে বের করার দিকে পরিচালিত করে। সেই সমস্যা বা সমাধান সুনির্দিষ্ট হোক বা অস্পষ্ট হোক, তা-ই হবে। সমস্যার সমাধানে অংশগ্রহণের একটি উপায় হলো জ্ঞানীয় শিক্ষক বা কগনিটিভ টিউটরের মতো টিউটর সিস্টেম ব্যবহার করা। এটি শিক্ষার্থীদের জন্য সমস্যা স্বনির্ধারণ করতে পারে। এটি তাদের শেখার অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করে। সমস্যার সমাধানের ক্ষেত্রে একটি বিশেষ পদ্ধতি হলো প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা। এখানে শিক্ষার্থীকে একটি কেন্দ্রীয় প্রশ্ন সমাধানের উপর গুরুত্ব দিয়ে শেখার কেন্দ্রে রাখা হয় এবং একটি বিস্তৃত অনুসন্ধানের মধ্য দিয়ে শেখানো হয়। সমস্যা ভিত্তিক শিক্ষা বাস্তব জীবনের সমস্যা নিয়ে কাজ করে যা শিক্ষার্থীদের বাস্তব অভিজ্ঞতার মাধ্যমে শেখাতে অনুপ্রাণিত করে। আরও একটি পদ্ধতি নকশা চিন্তন। এটি একটি নির্দিষ্ট কাঠামো ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের প্রকৃত সমস্যা সমাধানের জন্য একটি প্রোটোটাইপ তৈরি করতে উৎসাহিত করে। এই প্রক্রিয়াটিতে সহানুভূতি, বাস্তবসম্মত নকশা নীতিমালা এবং প্রোটোটাইপিং এর পরিশোধন প্রমাণ করে এখানে সমালোচনামূলক চিন্তন সক্রিয়ভাবে কাজ করছে।
একইভাবে, যুক্তি প্রদর্শন একটি সমালোচনামূলক চিন্তার প্রক্রিয়া। এখানে একক উত্তর না থাকলেও চিন্তা-ভাবনার মধ্যে আলোচনার প্রয়োজন পড়ে। যুক্তি প্রদর্শন বিশেষভাবে একটি দাবি বা ধারণাকে সমর্থন বা খণ্ডন করার জন্য যৌক্তিক ব্যাখ্যা ব্যবহার করে। তুলনামূলকভাবে, সমস্যা সমাধান হয়তো এমন একটি সমাধানে পৌঁছাতে পারে যা প্রমাণভিত্তিক বলে বিবেচিত হয়।
এই অধ্যায়ে এই তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের একটি তাত্ত্বিক পর্যালোচনা প্রদান করা হয়েছে: প্রতিটির বৈশিষ্ট্য, একে অপরের সাথে সম্পর্ক, এবং শ্রেণিকক্ষে বাস্তব প্রয়োগ।
'''শিক্ষার ফলাফল:'''
* সমালোচনামূলক চিন্তনের সংজ্ঞা ও এর জ্ঞানের সাথে পারস্পরিক সম্পর্ক ব্যাখ্যা করা
*
* সমস্যা সমাধানের সংজ্ঞা এবং কীভাবে এটি সমালোচনামূলক চিন্তনের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করে তা ব্যাখ্যা করা
*
* জ্ঞানীয় শিক্ষক কে একটি জ্ঞানীয় শেখার টুল হিসেবে উপস্থাপন করা। এটি সমস্যার সমাধানের মাধ্যমে শেখার মান উন্নত করে
*
* প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা কে সমস্যার সমাধানের একটি নির্দিষ্ট পদ্ধতি হিসেবে অনুসন্ধান করা
*
* নকশা চিন্তন কে প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা-এর একটি উপশ্রেণি হিসেবে বিশ্লেষণ করা এবং শেখার জন্য এর কাঠামো উপস্থাপন করা
*
* যুক্তি প্রদর্শনের সংজ্ঞা এবং এটি কীভাবে সমালোচনামূলক চিন্তার পদ্ধতি ব্যবহার করে তা ব্যাখ্যা করা
*
* যুক্তি প্রদর্শনের জন্য নির্দিষ্ট পদ্ধতি ও প্রয়োগের উপকরণ বিশ্লেষণ করা
= সমালোচনামূলক চিন্তন =
[[চিত্র:Critical_Thinking_Skills_Diagram.jpg|alt=সমালোচনামূলক চিন্তন এবং অন্যান্য জ্ঞানীয় দক্ষতার সাথে এর সম্পর্ক|থাম্ব|সমালোচনামূলক চিন্তন এবং অন্যান্য জ্ঞানীয় দক্ষতার সাথে এর সম্পর্ক]]
সমালোচনামূলক চিন্তন শিক্ষার একটি অত্যন্ত মূল্যবান দিক। মানুষের জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা যত বাড়ে, সমালোচনামূলক চিন্তনের ক্ষমতাও সাধারণত বাড়ে; কিন্তু এই বিকাশ যত তাড়াতাড়ি শুরু করা যায় ততই ভালো। গবেষণায় দেখা গেছে, সমালোচনামূলক চিন্তনের দক্ষতা জ্ঞানের স্থানান্তরের সাথে সম্পর্কযুক্ত, আর এই দক্ষতার অভাব পক্ষপাতদুষ্ট যুক্তির সাথে সম্পর্কিত <ref>Heijltjes, A., Van Gog, T., & Paas, F. (2014). Improving Students' Critical Thinking: Empirical Support for Explicit Instructions Combined with Practice. Applied Cognitive Psychology, 28(4), 518-530.</ref>। শিশুরা প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা শুরু করার আগেই বাড়িতে বাবা-মা ও অভিভাবকদের সাথে পারস্পরিক মিথস্ক্রিয়ার মাধ্যমে সমালোচনামূলক চিন্তন গড়ে তোলে <ref name=":16">Murphy, K. P., Rowe, M. L., Ramani, G., & Silverman, R. (2014). Promoting Critical-Analytic Thinking in Children and Adolescents at Home and in School. Educational Psychology Review, 26(4), 561-578.</ref>। এছাড়াও, স্পষ্ট নির্দেশনা দিলে এই দক্ষতা আরও বাড়ে <ref>Gick, M. L. (1986). Problem-Solving Strategies. Educational Psychologist, 21(1/2), 99-121.</ref>।
সমালোচনামূলক চিন্তন আমাদের এমন সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করে যা আমাদের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে যেমন নির্বাচন। এখানে প্রার্থীরা নিজেদের ও অন্যদের সম্পর্কে পক্ষপাতদুষ্ট তথ্য উপস্থাপন করে, খুব কার্যকর হয়। সমালোচনামূলক চিন্তনের অনুপস্থিতিতে মানুষ মিথ্যা তথ্য ও পক্ষপাতদুষ্ট যুক্তির শিকার হয়ে পড়তে পারে। তাই শিক্ষার্থীদেরকে সমালোচনামূলক চিন্তনের সাথে পরিচিত করানো এবং তারা যেন এটি ব্যবহার করে তা উৎসাহিত করা খুব জরুরি।
=== সমালোচনামূলক চিন্তনের সংজ্ঞা ===
সাধারণভাবে, সমালোচনামূলক চিন্তন বলতে বোঝায় যুক্তি এবং প্রমাণের মূল্যায়নের একটি প্রক্রিয়া। এর মাধ্যমে বিভিন্ন সম্ভাব্য সিদ্ধান্তের মধ্যে সবচেয়ে যথাযথ ও যুক্তিসম্মত সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যায়। এটি একটি গতিশীল এবং প্রতিফলনশীল প্রক্রিয়া। এটি মূলত প্রমাণভিত্তিক <ref name=":15">Ku, K. Y., Ho, I. T., Hau, K., & Lau, E. C. (2014). Integrating direct and ''[[চিন্তন ও নির্দেশনা/সমস্যা সমাধান, সমালোচনামূলক চিন্তন ও যুক্তি#শব্দকোষ Inquiry-Based Instruction|Inquiry_Based Instruction]]'' in the teaching of critical thinking: An intervention study. Instructional Science, 42(2), 251-169.</ref>।
সমালোচনামূলকভাবে চিন্তা করা মানে হলো তথ্যকে নিরপেক্ষভাবে বিশ্লেষণ করা, বিপরীতমুখী মতামত অন্বেষণ করা এবং অবশেষে প্রমাণ ও সুপরিকল্পিত চিন্তার ভিত্তিতে একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছানো। সমালোচনামূলক চিন্তাবিদেরা সরবরাহকৃত তথ্যের বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে, প্রমাণ অনুসন্ধান করে এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও জটিল সমস্যার সমাধানে দ্বিধা করেন না <ref name=":14">Mathews, S. R., & Lowe, K. (2011). Classroom environments that foster a ''[[চিন্তন ও নির্দেশনা/সমস্যা সমাধান, সমালোচনামূলক চিন্তন ও যুক্তি#শব্দকোষ Disposition for Critical Thinking|Disposition for Critical Thinking]]''. Learning Environments Research, 14(1), 59-73.</ref>। প্রশ্ন করা, কোনো বিষয় নিয়ে বিতর্ক করা, এবং তথ্যের উৎসের বিশ্বাসযোগ্যতা পর্যালোচনা করাও সমালোচনামূলক চিন্তার উদাহরণ।
গ্লেজার (১৯৪১) এর মতে, সমালোচনামূলক চিন্তনের তিনটি প্রধান উপাদান আছে: সমালোচনামূলক চিন্তার মানসিকতা, এই চিন্তাভাবনার কৌশল সম্পর্কে জ্ঞান, এবং কৌশলগুলো প্রয়োগ করার সক্ষমতা <ref>Glaser, E. M. (1941). An Experiment in the Development of Critical Thinking. Columbia University.</ref>।
তথ্যকে বিশ্লেষণ ও মূল্যায়নের মতো জ্ঞানীয় প্রক্রিয়াগুলোর মাধ্যমে সমালোচনামূলক চিন্তন কোনো বিষয় বা সমস্যাকে আরও গভীরভাবে বোঝার পথে নিয়ে যায়। চিন্তার একটি প্রতিফলনমূলক রূপ হিসেবে এটি নিজস্ব ধারণা, উদ্দেশ্য, অনুভূতি এবং আচরণ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে <ref name=":13">Phan, H.P. (2010). Critical thinking as a self-regulatory process component in teaching and learning. Psicothema, 22(2). 284-292.</ref>।
{| class="wikitable"
|<big>'''সমালোচনামূলক চিন্তনের উপাদান'''</big>
|-
|''[[চিন্তন ও নির্দেশনা/সমস্যা সমাধান, সমালোচনামূলক চিন্তন ও যুক্তি#শব্দকোষ Knowledge|জ্ঞান]]''
|একটি জ্ঞানের ভিত্তি গড়ে তোলা এবং জ্ঞান অর্জনের জন্য নির্দিষ্ট কৌশল তৈরি করা। এটি নির্দেশনার মাধ্যমে আরও কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
|-
|''[[চিন্তন ও নির্দেশনা/সমস্যা সমাধান, সমালোচনামূলক চিন্তন ও যুক্তি#শব্দকোষ Inference|অনুমান]]''
|বিদ্যমান জ্ঞানের ভিত্তির মধ্যে সংযোগ তৈরি করা ''[[চিন্তন ও নির্দেশনা/সমস্যা সমাধান, সমালোচনামূলক চিন্তন ও যুক্তি#শব্দকোষ Deduction|নির্গমন]]'' এবং/বা ''[[চিন্তন ও নির্দেশনা/সমস্যা সমাধান, সমালোচনামূলক চিন্তন ও যুক্তি#শব্দকোষ Induction|অনুমিতি]]'' এর মাধ্যমে।
|-
|''[[চিন্তন ও নির্দেশনা/সমস্যা সমাধান, সমালোচনামূলক চিন্তন ও যুক্তি#শব্দকোষ Evaluation|মূল্যায়ন]]''
|বিশ্লেষণ, বিচার, ওজন নির্ধারণ, নৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ, সমালোচনা এবং নিজস্ব ও বাহ্যিক তথ্যের প্রতি প্রশ্ন উত্থাপন।
|-
|''[[চিন্তন ও নির্দেশনা/সমস্যা সমাধান, সমালোচনামূলক চিন্তন ও যুক্তি#শব্দকোষ Metacognition|মেটাকগনিশন]]''
|"চিন্তার বিষয়ে চিন্তা" করার প্রক্রিয়া। এর মধ্যে নিজের সিদ্ধান্ত, মতামত বা বিশ্বাসগুলি যথাযথ ও প্রমাণসমর্থিত কি না তা মূল্যায়ন অন্তর্ভুক্ত।
|}
=== সমালোচনামূলক চিন্তন একটি পশ্চিমা ধারণা ===
[[চিত্র:EPSA_General_Assembly.jpg|alt=সমালোচনামূলক চিন্তনকে সব গণতান্ত্রিক নাগরিকদের জন্য অপরিহার্য বলে বিবেচনা করা হয়|থাম্ব|সমালোচনামূলক চিন্তনকে সব গণতান্ত্রিক নাগরিকদের জন্য অপরিহার্য বলে বিবেচনা করা হয়]]
আধুনিক শিক্ষায়, সমালোচনামূলক চিন্তনকে এমন একটি বিষয় হিসেবে বিবেচনা করা হয় যা সকলের শেখা উচিত এবং যা মানুষের সার্বজনীন প্রয়োজন, বিশেষ করে উচ্চশিক্ষায় <ref name=":0">Moon, J. (2007). Critical Thinking: An Exploration of Theory and Practice (1st ed.). London ; New York: Routledge.</ref><ref name=":18">Kurfiss, J. G. (1988). Critical Thinking: Theory, Research, Practice, and Possibilities: ASHE-ERIC/Higher Education Research Report, Volume 17, Number 2, 1988 (1st ed.). Washington, D.C: Jossey-Bass.</ref>। তবে, সমালোচনামূলক চিন্তন একটি মানবিক নির্মাণ <ref name=":19">Board on Testing and Assessment, Division of Behavioral and Social Sciences and Education, & National Research Council. (2011). Assessing 21st Century Skills: Summary of a Workshop. National Academies Press.</ref> – এটি কোনো বৈজ্ঞানিক সত্য নয় – এবং এটি [[w:Ancient_Greek_philosophy|প্রাচীন গ্রিক দর্শন]] ও বিশ্বাসের সাথে গভীরভাবে যুক্ত <ref name=":1">Mason, M. (2009). Critical Thinking and Learning. John Wiley & Sons.</ref>।
এই সংযোগ প্রাচীন গ্রিসের যুক্তিবাদী চিন্তার প্রাধান্য এবং গণতান্ত্রিক নীতির প্রতিফলন করে <ref name=":1" />। এল্ডার ও পল<ref name=":5">Elder, L., & Paul, R. (2009). The Art of Asking Essential Questions (5th Edition). Dillon Beach, CA: Foundation for Critical Thinking</ref>, মুন<ref name=":0" />, এবং স্ট্যানলিক এবং স্ট্রসার<ref name=":6">Paul, R., & Elder, L. (2007). The Thinker’s Guide to The Art of Socratic Questioning. Dillon Beach, CA: The Foundation for Critical Thinking.</ref> সহ বিভিন্ন লেখক বিশ্বাস করেন, সমালোচনামূলক চিন্তনের সূত্রপাত [[w:Socrates|সক্রেটিসের]] সময় থেকেই হয়েছে। মরগান ও স্যাক্সটন (২০০৬) সমালোচনামূলক চিন্তনকে গণতান্ত্রিক নাগরিকদের একটি মৌলিক প্রয়োজনীয়তা হিসেবে দেখেছেন <ref name=":3">Morgan, N., & Saxton, J. (2006). Asking Better Questions (2nd ed.). Markham, ON: Pembroke Publishers.</ref>।
প্রাচীন গ্রিসের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ হলো সক্রেটীয় পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে দুটি বা ততোধিক ব্যক্তির মধ্যে যুক্তিপূর্ণ প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমে আলোচনা হয়। এখানে তারা একে অপরের মতবাদ চ্যালেঞ্জ করে <ref name=":2">Cain, R. B. (2007). The Socratic Method: Plato’s Use of Philosophical Drama. A&C Black.</ref>। এমন আলোচনা বাস্তবতা ও মতামতের দ্বৈততার বিষয় উত্থাপন করে। এখানে একটি ‘সঠিক উত্তর’ খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা করা হয়, তবে এই পদ্ধতির মধ্য দিয়েই মতবাদের বিষয়ভিত্তিকতা ফুটে ওঠে <ref name=":2" />।
এই প্রাচীন গ্রিক সংযোগের কারণে সমালোচনামূলক চিন্তনকে সাধারণত একটি পশ্চিমা ধারণা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ ধারণা আরও জোরালো হয় [[w:Bloom's_taxonomy|ব্লুমের শ্রেণিবিন্যাস]] নামক আরেকটি পশ্চিমা কাঠামোর মাধ্যমে। এটি আধুনিক শিক্ষায় সমালোচনামূলক চিন্তনের মূলে বিবেচিত <ref>Harmon, D. A., & Jones, T. S. (2005). Elementary Education: A Reference Handbook. ABC-CLIO.</ref>।
যেহেতু সমালোচনামূলক চিন্তন একটি মানবিক নির্মাণ, তাই এটি কেমন হওয়া উচিত তা ব্যক্তি থেকে ব্যক্তিভেদে ভিন্ন হতে পারে। মুন (১৯৯৭) তার কর্মশালাগুলো থেকে সমালোচনামূলক চিন্তনের ২১টি সাধারণ সংজ্ঞা তুলে ধরেছেন এবং তারপর নিজের ২-পৃষ্ঠার সংজ্ঞা প্রদান করেছেন <ref name=":0" />। একটি মতামত অনুসারে, সমালোচনামূলক চিন্তন এমন একটি দক্ষতার সমষ্টি যা কাউকে যুক্তিযুক্ত সিদ্ধান্ত নিতে এবং এমন প্রেক্ষাপটে সিদ্ধান্ত দিতে সক্ষম করে যেখানে পূর্ব জ্ঞান বিদ্যমান <ref name=":19" />। আরেকটি মত অনুযায়ী, এটি একটি পদ্ধতিগত যুক্তি ও বিশ্লেষণের ব্যবহার। এটি সবসময় প্রমাণভিত্তিক না হলেও যুক্তিনির্ভর ও বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করে <ref>Stanley, T., & Moore, B. (2013). Critical Thinking and Formative Assessments: Increasing the Rigor in Your Classroom. Routledge.</ref>। শেষ পর্যন্ত মুন এর মতে, সমালোচনামূলক চিন্তনের নির্দিষ্ট কোনো সঠিক বা ভুল সংজ্ঞা নেই <ref name=":0" />।
=== বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলে সমালোচনামূলক চিন্তন ===
গবেষকেরা যুক্তি দেন, সমালোচনামূলক চিন্তনের ধারণাটি যদিও পশ্চিমা, গণতান্ত্রিক দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্কিত, তবে এর অর্থ এই নয় যে অন্যান্য অ-পশ্চিমা সংস্কৃতিগুলোর মধ্যে সমালোচনামূলক চিন্তন সংক্রান্ত অনুরূপ কোনো গঠন বা চর্চা নেই <ref name=":4">Jung, I., Nishimura, M., & Sasao, T. (2016). Liberal Arts Education and Colleges in East Asia: Possibilities and Challenges in the Global Age. Springer.</ref>। বরং, “যুক্তি প্রদর্শনের বিভিন্ন পন্থা বা রূপ বিদ্যমান” <ref>Mason, M. (2009). Critical Thinking and Learning. John Wiley & Sons. p. 8.</ref>; যেমন, এশীয় অঞ্চলে বিতর্ক করার পদ্ধতিতে একে অপরের বিরোধী মতামতের মধ্যে সংযোগ খোঁজার চেষ্টা করা হয় যাতে এই মতাদর্শগুলো সহাবস্থান করতে পারে <ref name=":4" />। এটি পূর্বাচলিত মুখরক্ষা মূল্যবোধের কারণে ঘটে <ref name=":02" />। এর বিপরীতে, পশ্চিমা পন্থাগুলোকে প্রায়ই প্রতিযোগিতামূলক হিসেবে দেখা হয়: যেখানে অন্যের মতামত আক্রমণ করে নিজের অবস্থান রক্ষা করা হয়। যদিও এই বিভাজনমূলক সাধারণীকরণ বিদ্যমান, পূর্ব ও পশ্চিমা পন্থার মধ্যে বাস্তবিক দৃষ্টিকোণ থেকে অনেক মিল রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, এশীয় কূটনৈতিক বিতর্কপদ্ধতির ক্ষেত্রে যেমন সমঝোতা এবং আলোচনার প্রয়োজন হয়, তেমনি পশ্চিমা পন্থাগুলোর মধ্যেও এসব উপাদান থাকে কারণ ধারণাগুলো অনেক সময় জটিল হয় এবং অনেকগুলো 'সঠিক' উত্তর থাকতে পারে <ref name=":32" />। অনুরূপভাবে, অন্যান্য সংস্কৃতিগুলো কতটা পশ্চিমা সমালোচনামূলক চিন্তনের ধারণা গ্রহণ করে তা সংস্কৃতিগত মূল্যবোধ দ্বারা নির্ধারিত হয়। উদাহরণস্বরূপ, মুসলিম সংস্কৃতিগুলোতে সমালোচনামূলক চিন্তার মূল্য, নিজের মতামত প্রকাশের উপযুক্ততা সম্পর্কিত দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত <ref>Davies, M., & Barnett, R. (2015). The Palgrave Handbook of Critical Thinking in Higher Education. Springer.</ref>।
=== প্রবণতা ও সমালোচনামূলক চিন্তন ===
অনেকে মনে করেন, কেবলমাত্র সমালোচনামূলক চিন্তনের দক্ষতা থাকাই যথেষ্ট নয়—সমালোচনামূলক চিন্তার জন্য একটি '''[[w:Disposition|প্রবণতা]]''' থাকা প্রয়োজন <ref name=":142" />। এই প্রবণতা বা মানসিক প্রস্তুতি কগনিটিভ স্কিল থেকে ভিন্ন। এটি ব্যাখ্যা করা যায় এমন একটি ক্ষমতা হিসেবে। এখানে কেউ সচেতনভাবে একটি দক্ষতা ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নেয়, কেবল তা প্রয়োগ করার সক্ষমতার বাইরে <ref name=":152" />। সমালোচনামূলক চিন্তার প্রবণতার মধ্যে বুদ্ধিবৃত্তিক কার্যকলাপে প্রকৃত আগ্রহ ও দক্ষতা থাকতে পারে। পারকিন্স প্রমুখ (২০০০) এই ধারণাটি প্রসারিত করে বলেন, সমালোচনামূলক চিন্তার প্রবণতার তিনটি দিক রয়েছে: বুদ্ধিবৃত্তিক আচরণে অংশগ্রহণের একটি প্রবণতা; সুযোগগুলো সম্পর্কে সচেতনতা যেখানে এই আচরণগুলো চর্চা করা যায়; এবং সমালোচনামূলক চিন্তায় অংশগ্রহণের একটি সামগ্রিক সক্ষমতা <ref name=":142" />। হালপের্ন (১৯৯৮) উল্লেখ করেন, এই প্রবণতার মধ্যে কঠিন কাজ চালিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা, উদার মনের মানসিকতা এবং পরিকল্পনার অভ্যাস থাকা উচিত <ref name=":142" />। ক্লিফোর্ড প্রমুখ (২০০৪) পরিচালিত একটি কগনিটিভ স্কিল গবেষণায় দেখা গিয়েছে, সমালোচনামূলক চিন্তার প্রবণতা ভালো সমালোচনামূলক চিন্তাধারার দক্ষতার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত <ref name=":152" />।
নিম্নোক্ত বৈশিষ্ট্যগুলো হলো ব্যক্তির মনোভাব বা ব্যক্তিত্বের গুণাবলি, যেগুলো সমালোচনামূলক চিন্তনের দক্ষতা অর্জনে সহায়ক:
# জিজ্ঞাসু মনোভাব
# পদ্ধতিগত চিন্তা
# বিচারক্ষমতা সম্পন্ন
# সত্যান্বেষী
# বিশ্লেষণধর্মী
# উদারমনা
# যুক্তির উপর আস্থা
[[চিত্র:P_religion_world.svg|alt=ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক বিশ্বাস সমালোচনামূলক চিন্তার প্রবণতাকে প্রভাবিত করে|থাম্ব|ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক বিশ্বাস সমালোচনামূলক চিন্তার প্রবণতাকে প্রভাবিত করে]]
অনেকগুলো বিষয়ই কারও সমালোচনামূলক চিন্তার প্রবণতাকে প্রভাবিত করতে পারে; এর মধ্যে প্রথমটি হলো সংস্কৃতি <ref name=":142" />। সংস্কৃতির অনেক দিকই মানুষের সমালোচনামূলক চিন্তার সক্ষমতাকে প্রভাবিত করতে পারে। যেমন, ধর্ম অনেক সময় এই দক্ষতার বিকাশে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে <ref name=":142" />। অনেক ধর্মই বিশ্বাসের উপর প্রতিষ্ঠিত। এখানে প্রমাণ ছাড়াই অন্ধ বিশ্বাসের প্রয়োজন হয়। সংগঠিত ধর্মের এই বৈশিষ্ট্যটি সমালোচনামূলক চিন্তার মূল ভিত্তির বিরোধিতা করে। কারণ সমালোচনামূলক চিন্তা মূলত যেকোনো দাবির যথার্থতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা মূল্যায়ন করে। এমন পরিবেশে বেড়ে ওঠা একটি শিশুর এই দক্ষতা বিকাশে অন্তরায় হতে পারে। এই ধরনের পরিবেশ ধর্মীয় বিশ্বাস প্রশ্নবিদ্ধ করার প্রবণতা বা ধর্মের গ্রহণযোগ্যতা বিশ্লেষণের মনোভাবকে দমন করতে পারে। আরেকটি সাংস্কৃতিক উপাদান হলো কর্তৃত্ব <ref name=":142" />। একজন শিশু যদি কর্তৃত্ববাদী অভিভাবকত্বে বেড়ে ওঠে, তবে তাদের জীবনের অনেক দিকেই নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে, কিন্তু বিশেষভাবে সমালোচনামূলক চিন্তার ওপর এর প্রভাব বেশি পড়ে। কারণ সেখানে কর্তৃত্বের বিশ্বাসযোগ্যতা প্রশ্ন করা শেখানো হয় না এবং কেউ করলে তাকে শাস্তি দেওয়া হয়। এই একই বিষয় শ্রেণিকক্ষেও প্রযোজ্য <ref name=":142" />। শ্রেণিকক্ষের এমন পরিবেশ। এখানে শিক্ষকেরা মুক্ত আলোচনার পরিবেশ তৈরি করেন না বা শিক্ষার্থীদের শেখানো বিষয়ে প্রশ্ন তুলতে দেন না, তা সমালোচনামূলক চিন্তার বিকাশে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। যেখানে প্রশ্ন করা নিরুৎসাহিত করা হয় বা বাড়িতে অভিভাবকীয় কর্তৃত্ব খুব বেশি, সেসব পরিবেশ শিক্ষার্থীদের চিন্তার স্বাধীনতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। উপরন্তু, এসব শিক্ষার্থী হয়তো আজীবন এমন পরিবেশে অভ্যস্ত হয়ে ওঠে <ref name=":142" />। তবে, এই সাংস্কৃতিক সীমাবদ্ধতাগুলো সত্ত্বেও, ঘর ও শ্রেণিকক্ষে সমালোচনামূলক চিন্তার প্রবণতা গড়ে তোলার উপায় রয়েছে।
শ্রেণিকক্ষের গঠনই এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায়। এর মাধ্যমে এই প্রবণতাগুলোকে উৎসাহিত করা যায়। এমন শ্রেণিকক্ষের কাঠামো তৈরি করা। এখানে শিক্ষার্থীরা কী পড়বে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে পারে, তা সমালোচনামূলক চিন্তা প্রবণতা গঠনে সহায়ক হতে পারে <ref name=":142" />। এ ধরনের কাঠামো শিক্ষার্থীদের শেখার বিষয়ের প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি করে এবং সেই সঙ্গে এমন একটি শ্রেণিকক্ষের পরিবেশ তৈরি করে যেখানে শিক্ষার্থীরা শিক্ষক এবং সহপাঠীদের মতামত ও বিশ্বাস সম্পর্কে প্রশ্ন তুলতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে। শিক্ষার্থীদের দেওয়া তথ্য বিশ্লেষণ ও মূল্যায়নের স্বাধীনতা দেওয়া, এমন একটি শ্রেণিকক্ষের পরিবেশ তৈরি করে যেখানে সমালোচনামূলক চিন্তা প্রবণতা বিকাশ সম্ভব। এই স্বাধীনতা শিক্ষার্থীদের বৃহত্তর শ্রেণিকক্ষ কাঠামোর ভেতরেও স্বতন্ত্র ব্যক্তি হিসেবে গড়ে ওঠার সুযোগ দেয় এবং তাদের নিজের সিদ্ধান্ত নিজেরাই নেওয়ার ক্ষমতা অর্জনের পথ করে দেয়। শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের ক্ষমতা ভাগ করে দেওয়া তাদের উদ্দীপনা ধরে রাখা ও বিশ্লেষণধর্মী মনোভাব গড়ে তোলার ক্ষেত্রে অত্যন্ত কার্যকর হতে পারে <ref name=":142" />। শিক্ষকরা শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের স্বতন্ত্রতা গঠনের জন্য বিভিন্ন কৌশল ব্যবহার করতে পারেন। শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন ভূমিকা পালন করতে দেওয়া যেতে পারে, যেমন পূর্বানুমান করা বা সমস্যা বিশ্লেষণ করা <ref name=":142" />। শিক্ষার্থীদের সামনে উপস্থাপিত সমস্যাগুলোতে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করতে দেওয়া, কেবল পাঠ্যপুস্তক বা শিক্ষকের মতামত শেখানো নয়, বরং নিজের মত গঠনের জন্য শিক্ষার্থীদের স্বাধীনতা দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। এর পাশাপাশি, বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করা ও বিশ্লেষণ করাও সমালোচনামূলক চিন্তা প্রবণতা গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এতে শিক্ষার্থীরা নিজেরাই তথ্য খুঁজে বের করে, বিশ্লেষণ করে এবং নিজস্ব সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারে <ref name=":142" />। এইভাবে শিক্ষার্থীরা তাদের পূর্বানুমান ও গবেষণার ফলাফল বিশ্লেষণ করে সেই ধারণাগুলোর যথার্থতা মূল্যায়ন করতে পারে <ref name=":142" />।
=== আত্ম-নিয়ন্ত্রণ ও সমালোচনামূলক চিন্তন ===
শিক্ষকদের উচিত, সমালোচনামূলক চিন্তা শেখানোর পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের '''[[w:আত্ম-নিয়ন্ত্রণ|আত্ম-নিয়ন্ত্রণ]]''' বজায় রাখার দিকেও নজর দেওয়া। নতুন কোনো দক্ষতা শেখার সময় শিক্ষার্থীদের তাদের শেখার প্রতি মোটিভেশন বজায় রাখতে এবং আত্মপ্রণোদিত মনোভাব রাখার প্রয়োজন হয়। ফ্যান (২০১০)-এর একটি প্রবন্ধে বলা হয়েছে। এরা আত্ম-নিয়ন্ত্রিত শিক্ষার্থী, তারা লক্ষ্যের প্রতি বেশি মনোযোগী হয়, নিজেদের শেখার জন্য আরও বেশি দায়িত্বশীল হয়, তাদের মোটিভেশন বজায় থাকে, এবং তারা কগনিটিভভাবে আরও নমনীয় হয়। এর ফলে তারা সমালোচনামূলক চিন্তা চর্চায় আগ্রহী হয়। যেহেতু সমালোচনামূলক চিন্তন দক্ষতা অত্যন্ত প্রতিফলনমুখী, তাই তা আত্ম-নিয়ন্ত্রিত শিক্ষায় সহায়তা করে এবং বিপরীতভাবে আত্ম-নিয়ন্ত্রণমূলক কৌশলগুলো সমালোচনামূলক চিন্তন দক্ষতা গঠনে সহায়তা করে <ref name=":132" />।
[[চিন্তন ও নির্দেশনা/সমস্যা সমাধান, সমালোচনামূলক চিন্তন ও যুক্তি#আত্ম-নিয়ন্ত্রণ|আত্ম-নিয়ন্ত্রণ]] শিক্ষার্থীদের সক্রিয়ভাবে শেখার জন্য প্রয়োজনীয় মৌলিক মেটা-কগনিটিভ সচেতনতা দেয়। এই সচেতনতা শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন, প্রতিফলন এবং যুক্তিসিদ্ধ সিদ্ধান্ত নেওয়ার মতো সমালোচনামূলক চিন্তা প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণে সহায়তা করে। নিজের চিন্তাভাবনা মূল্যায়নের মেটা-কগনিটিভ ক্ষমতার মাধ্যমে, একজন শিক্ষার্থী শেখার ক্ষেত্রে আত্মনির্ভরশীল হয়ে উঠতে পারে <ref name=":132" />। প্রতিটি কাজে একজন তত্ত্বাবধায়ক থাকা না লাগলেও শিক্ষার্থী নিজেই নিজের অগ্রগতি মূল্যায়ন করে নিজস্ব গতিতে এগিয়ে যেতে পারে, এটাই SRL-এর মূলনীতি। এই প্রক্রিয়ার অংশ হলো একজন শিক্ষার্থীর নিজস্ব কৌশল নিয়ে নিয়মিতভাবে প্রতিফলন করা। এই প্রতিফলন সমালোচনামূলক চিন্তার মাধ্যমে শিক্ষার্থীর শেখার পদ্ধতি অনুযায়ী উপযুক্ত কৌশল বেছে নিতে সাহায্য করে।
সমালোচনামূলক চিন্তার জটিল প্রকৃতি ইঙ্গিত করে এটি একটি দীর্ঘমেয়াদী বিকাশ প্রক্রিয়া। এখানে দিকনির্দেশনা, চর্চা ও পুনরাবৃত্তি প্রয়োজন। এই প্রক্রিয়াকে সহজ করতে, আত্ম-পর্যবেক্ষণ আত্ম-নিয়ন্ত্রণের প্রাথমিক ধাপ হিসেবে কাজ করে। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা তাদের নিজের শিক্ষা অর্জনের প্রতিফলন শুরু করতে পারে। এই মূল্যায়ন অ্যাকাডেমিক সক্ষমতা সম্পর্কে মোটিভেশনাল বিশ্বাস সৃষ্টি করে আত্ম-দক্ষতা বৃদ্ধি করে <ref name=":132" />। এরপর চর্চার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা তাদের সমালোচনামূলক চিন্তন দক্ষতাকে নিজেদের পরিধি ছাড়িয়ে শিক্ষাগত প্রেক্ষাপটে প্রসারিত করতে পারে। নিয়মিত চর্চার মাধ্যমে, শিক্ষার্থীরা তাদের মেটা-কগনিটিভ কৌশলকে দীর্ঘমেয়াদী সমালোচনামূলক চিন্তন দক্ষতা গঠনের ভিত্তি হিসেবে ব্যবহার করতে পারে।
== সমালোচনামূলক চিন্তনের কৌশলসমূহ ==
[[চিত্র:Studysuccessweb.jpg|থাম্ব|ধারণাচিত্র]]
মনোবিজ্ঞানী ও শিক্ষাবিদেরা সমালোচনামূলক চিন্তার বিকাশের জন্য বহু কৌশল আবিষ্কার করেছেন। এই কৌশলগুলোর মধ্যে কিছু খুব পরিচিত, যেমন [[w:ধারণাচিত্র|ধারণাচিত্র]] বা [[w:Venn_diagram|ভেন চিত্র]], আবার কিছু কম পরিচিত যেমন, "আপিল-কোয়েশ্চন স্টিমুলাস স্ট্র্যাটেজি" <ref name=":17">Cibáková, D. (2015). Methods of developing critical thinking when working with educative texts. E-Pedagogium, (2), 135-145.</ref>। ধারণাচিত্র মানচিত্র ধারণা ও বিষয়বস্তুর পারস্পরিক সম্পর্ক চিত্রিত করতে সহায়ক, এবং ভেন চিত্র সাধারণত পরস্পরবিরোধী ধারণা উপস্থাপনের জন্য ব্যবহৃত হয় <ref name=":17" />।
=== ভেন চিত্র ===
[[চিত্র:Venn-and.svg|alt=ভেন ডায়াগ্রাম|থাম্ব|ভেন চিত্র]]
উচ্চ বিদ্যালয় ৭ম শ্রেণি থেকেই গণিতে সেট অধ্যায়ে ভেন চিত্র প্রায়ই ব্যবহৃত হয়। অন্য পর্যায়েও তুলনামূলক বিশ্লেষণের জন্য এটি ব্যবহৃত হয়। উদাহরণস্বরূপ, বিজ্ঞান ক্লাসে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন গাছ বা প্রাণীর তুলনা ও বিপরীত বৈশিষ্ট্য উপস্থাপনার জন্য ভেন চিত্র তৈরি করতে বলা যেতে পারে। ধারণাচিত্র মানচিত্র প্রাথমিক পর্যায়ে পরিচয় করিয়ে দেওয়া গেলেও তা মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা পর্যায়ে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়। এই ধরনের মানচিত্র শিক্ষার্থীদের পাঠ্যবিষয়ের সঙ্গে যুক্ত থাকতে উৎসাহিত করার একটি সক্রিয় ও বহুমাত্রিক পন্থা।
একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো কনসেপ্ট ম্যাপিং শিক্ষার্থীদের পূর্বে শেখা তথ্য নিয়ে চিন্তা করতে এবং সংযোগ তৈরি করতে উদ্বুদ্ধ করে। প্রাথমিক শ্রেণিগুলোতে, কনসেপ্ট ম্যাপ প্রকল্প হিসেবে উপস্থাপন করা যেতে পারে, আর পরবর্তীতে, যেমন কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে, শিক্ষার্থীরা এটি একটি অধ্যয়ন কৌশল হিসেবে ব্যবহার করতে পারে। প্রাথমিক স্তরে, শিক্ষার্থীরা তাদের পড়া গল্পে চরিত্র, স্থান বা কাহিনির মধ্যে সংযোগ স্থাপনে কনসেপ্ট ম্যাপ ব্যবহার করতে পারে। যখন কনসেপ্ট ম্যাপ পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়, তখন শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের একটি শব্দ বা বাক্যাংশের তালিকা দিতে পারেন এবং শিক্ষার্থীদের নির্দেশ দেন এগুলোর মধ্যে সংযোগ কনসেপ্ট ম্যাপের আকারে চিত্রিত করতে। প্রশ্ন করা একটি সহজ এবং আকর্ষণীয় উপায় হতে পারে সমালোচনামূলক চিন্তার বিকাশের জন্য। শিক্ষকরা উপকরণ নিয়ে শিক্ষার্থীদের প্রশ্ন করে শুরু করতে পারেন এবং তারপর শিক্ষার্থীদের নিজেদের প্রশ্ন তৈরি করতে উৎসাহিত করতে পারেন। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষায়, শিক্ষার্থীরা কোনো উৎসের বিশ্বাসযোগ্যতা যাচাইয়ের জন্য প্রশ্ন ব্যবহার করতে পারে। প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যায়ে, প্রশ্ন ব্যবহার করা যেতে পারে শিক্ষার্থীদের উপকরণ বোঝার ক্ষমতা মূল্যায়নে, এবং একই সঙ্গে তাদের সমালোচনামূলক চিন্তায় উৎসাহিত করতে, যেমন গল্পের চরিত্রদের কার্যকলাপ নিয়ে প্রশ্ন তোলা বা কোনো পরীক্ষার গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে চিন্তা করা। ‘অ্যাপিল-কোয়েশ্চেন স্টিমুলি’। এর প্রবর্তক স্বোবোডোভা, এই পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীরা তাদের পড়া বোঝাপড়া সম্পর্কে প্রশ্ন তোলে <ref name=":172" />।
=== আলোচনা ===
শিক্ষার্থীদের সমালোচনামূলক চিন্তন দক্ষতা বিকাশে আলোচনা একটি বিশেষভাবে কার্যকর কৌশল হতে পারে শিক্ষকদের জন্য। সহপাঠীদের সঙ্গে মিথস্ক্রিয়া কিছু নির্দিষ্ট সমালোচনামূলক চিন্তন দক্ষতা গঠনের ভিত্তি তৈরি করে, যেমন ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ এবং সহযোগিতা। এটি হয়তো সরাসরি শেখানোর মাধ্যমে সহজে শেখানো যায় না। আলোচনার একটি বড় অংশ অবশ্যই ভাষা। ক্লুস্টার (২০০২) বলেছেন, সমালোচনামূলক চিন্তা শুরু হয় প্রশ্ন তোলার মাধ্যমে <ref name=":172" />। অনুরূপভাবে, ভিগোৎসকি উল্লেখ করেছেন যে ভাষাগত দক্ষতা উচ্চস্তরের চিন্তাধারার জন্য অপরিহার্য পূর্বশর্ত হতে পারে <ref name=":162" />। যখন শিশুদের শব্দভাণ্ডার বড় হয়, তখন তারা পাঠ্যবস্তুকে আরও ভালোভাবে বুঝতে পারে এবং তারপরে সে উপকরণ নিয়ে বিমূর্তভাবে চিন্তা করতে পারে এবং সহপাঠীদের সঙ্গে তা নিয়ে চিন্তাশীল আলোচনা করতে পারে <ref name=":162" />।
গবেষণায় দেখা গিয়েছে,, বিভিন্ন বয়সের সহপাঠীদের মধ্যে আলোচনা সমালোচনামূলক চিন্তার বিকাশে বিশেষভাবে সহায়ক হতে পারে। এই ধরনের গ্রুপগুলো কার্যকর হতে পারে কারণ শিশুদের মধ্যে বিভিন্ন বয়সের সহপাঠীদের সঙ্গে কাজ করার সময় সাধারণত বেশি অনুপ্রেরণা দেখা যায় <ref name=":162" />। ছোটরা বড়দের একজন মেন্টর এবং জ্ঞানের উৎস হিসেবে দেখে, আর বড়রা একটি পরিপক্বতা এবং দায়িত্ববোধ অনুভব করে তাদের জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা ছোটদের সঙ্গে ভাগাভাগি করার <ref name=":162" />। এই ধরনের আলোচনায় শিক্ষার্থীরা এমন ভাষা ব্যবহার করার চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয় যা অন্যদের বোধগম্য হয় <ref name=":162" />। একটি প্রচলিত উদাহরণ হলো কানাডীয় বিদ্যালয়গুলোর “বড় বন্ধু” প্রোগ্রাম। এখানে উচ্চ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নিম্ন শ্রেণির একজন শিক্ষার্থীকে বছরের জন্য সহায়তা করার জন্য নিযুক্ত করা হয়। বড় বন্ধুরা ছোট বন্ধুদের প্রকল্প, পরামর্শ বা স্কুল ইভেন্টে সাহায্য করতে পারে। এই প্রোগ্রামগুলো কার্যকর কারণ ছোটরা তাদের বড় বন্ধুদের অনুসরণ করে এবং বড়রা তাদের ছোটদের সহায়তা করতে একটি দায়িত্ববোধ অনুভব করে। হ্যাটি (২০০৬) বলেছেন, এই আলোচনা অবশ্যই একজন শিক্ষকের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত অত্যন্ত সংগঠিত কার্যক্রম হওয়া উচিত। এটিতে শিক্ষার্থীরা তাদের দায়িত্ব সম্পর্কে স্পষ্ট থাকে <ref name=":162" />।
==== শ্রেণিকক্ষের পরিবেশ ====
একটি শ্রেণিকক্ষ যেখানে শিক্ষার্থীরা প্রশ্ন করতে এবং তাদের ধারণা ভাগ করতে নিরাপদ বোধ করে, তা সমালোচনামূলক চিন্তাকে উৎসাহিত করার জন্য অত্যন্ত মূল্যবান। গবেষণায় দেখা গেছে, যখন শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষের সংগঠন ও কার্যক্রম পরিকল্পনায় অংশগ্রহণ করতে পারে, তখন তারা সমালোচনামূলক চিন্তার প্রতি বেশি ঝোঁক দেখায় <ref name=":143" />। এমন শ্রেণিকক্ষে শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষের কার্যপদ্ধতি নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় সক্রিয়ভাবে অন্তর্ভুক্ত করতে উৎসাহিত করেন <ref name=":143" />। একই সঙ্গে, শিক্ষকদের উচিত কাঙ্ক্ষিত ধরণের সমালোচনামূলক চিন্তন নিজেরাই প্রদর্শন করা, যেমন নিজের সিদ্ধান্ত বা কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত নিয়ে সম্মানজনক ও যথাযথভাবে প্রশ্ন তোলা <ref name=":143" />। গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব শ্রেণিকক্ষে শিক্ষকরা উৎসাহী এবং প্রতিক্রিয়াশীল, সেখানে শিক্ষার্থীদের জ্ঞানগত সম্পৃক্ততা তুলনামূলকভাবে বেশি <ref>Garcia, T., & Pintrich, P. R. (1992). Critical Thinking and Its Relationship to Motivation, Learning Strategies, and Classroom Experience. 2-30.</ref>। তাই, শিক্ষকদের উচিত উৎসাহব্যঞ্জক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক হওয়া এবং সম্ভব হলে শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষ পরিকল্পনায় অংশগ্রহণ করতে দেওয়া।
=== সমালোচনামূলক প্রশ্ন ===
গবেষণা ক্রমেই সমর্থন করছে যে সমালোচনামূলক চিন্তা সরাসরি শেখানো সম্ভব <ref name=":7">Halpern, D. F. (2013). Thought and Knowledge: An Introduction to Critical Thinking. Psychology Press.</ref>। শিক্ষায় সমালোচনামূলক প্রশ্নের ব্যবহার বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই প্রশ্নগুলো শেখানোর মাধ্যমে শিক্ষকরা সমালোচনামূলক চিন্তার প্রক্রিয়া দৃশ্যমানভাবে মডেল করেন। শিক্ষায় সমালোচনামূলক চিন্তা শেখানোর অন্যতম সমস্যা হলো শিক্ষার্থীরা কেবল শিক্ষকের সিদ্ধান্ত দেখে, অর্থাৎ তারা দেখতে পায় না যে কীভাবে শিক্ষক এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন <ref name=":182" />। একজন অভিজ্ঞ চিন্তাবিদ অবশ্য প্রশ্ন করে, কিন্তু এই প্রশ্নগুলো সাধারণত মুখে উচ্চারণ করা হয় না। কিন্তু শিক্ষার্থীরা যদি সমালোচনামূলক প্রশ্ন ও চিন্তার কৌশল শিখতে চায়, তাহলে তাদের সেই চিন্তার প্রক্রিয়া দেখতে হবে। প্রশ্ন তৈরির ও তার ধারাবাহিকতা দেখিয়ে চিন্তার ধারাটি বোঝানো সম্ভব।
সমালোচনামূলক প্রশ্ন শেখানোর বিভিন্ন পদ্ধতি আছে। নিচে আলোচিত কাঠামোগুলো সবচেয়ে সুপরিচিত। প্রতিটি কাঠামোর নিজস্ব শক্তি ও দুর্বলতা রয়েছে ব্যবহারযোগ্যতা, জটিলতা এবং সার্বজনীনতার দিক থেকে। প্রতিটি পদ্ধতি সমালোচনামূলক চিন্তাকে আলাদা সংজ্ঞায় সংজ্ঞায়িত করে। ফলে একজন ব্যক্তির সমালোচনামূলক চিন্তার সংজ্ঞা তার নির্দিষ্ট কাঠামোর প্রতি গ্রহণযোগ্যতাকে প্রভাবিত করতে পারে।
[[চিত্র:Sócrates.jpeg|alt= Socrates|থাম্ব|Socrates]]
==== সক্রেটীয় পদ্ধতি ====
পশ্চিমা দৃষ্টিভঙ্গিতে সমালোচনামূলক চিন্তার একটি মূল বৈশিষ্ট্য হলো সমালোচনামূলক প্রশ্নের গুরুত্ব। এটি প্রাচীন গ্রিক সক্রেটীয় পদ্ধতির সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হোক বা নতুন প্রশ্ন তৈরি করা হোক—সমালোচনামূলক চিন্তা সব সময় প্রশ্নের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত, তা স্পষ্ট বা অদৃশ্য, সচেতন বা অসচেতন <ref name=":62" />। ব্রাউন ও কিলি (২০০৬) তাদের সমালোচনামূলক চিন্তার সংজ্ঞা সম্পূর্ণরূপে প্রশ্নের অন্তর্ভুক্তির উপর ভিত্তি করে গড়ে তুলেছেন <ref>Browne, M. N., & Keeley, S. M. (2006). Asking the Right Questions: A Guide to Critical Thinking (8th ed.). Upper Saddle River, N.J: Prentice Hall.</ref>।
সমালোচনামূলক প্রশ্নের উত্তর সব সময় পরীক্ষণযোগ্য নয়। এগুলো যুক্তিপূর্ণ হতে পারে, কিন্তু তারপরও বিকল্প মতামতের অধীন, ফলে সব মতই একযোগে ব্যক্তিগত ও বাস্তবিক হতে পারে। এল্ডার ও পল (২০০৯) এই প্রশ্নগুলোকে তিনটি শ্রেণিতে ভাগ করেছেন <ref name=":52" />:
# এমন প্রশ্ন যেগুলোর সঠিক উত্তর আছে এবং তা জ্ঞান দিয়ে নির্ধারণ করা যায়
# এমন প্রশ্ন যেগুলোর উত্তর ব্যক্তিনির্ভর এবং বিচার করা যায় না
# এমন প্রশ্ন যেগুলো যৌক্তিক এবং প্রমাণভিত্তিক যুক্তি দিয়ে বিচার করা যায়
সমালোচনামূলক প্রশ্ন সম্পর্কিত বইগুলো মূলত সক্রেটীয় পদ্ধতিতে প্রভাবিত এবং ‘ভালো’ ও ‘খারাপ’ প্রশ্নের মধ্যে পার্থক্য করে। ভালো প্রশ্ন হলো যেগুলো প্রাসঙ্গিক এবং যুক্তিনিষ্ঠ, আর খারাপ প্রশ্ন হলো অপ্রাসঙ্গিক, অগভীর এবং এলোমেলোভাবে সাজানো <ref name=":33" /><ref name=":62" />। এল্ডার ও পল (২০০৯) বলেন, “একজন ভালো চিন্তাবিদ এবং খারাপ প্রশ্নকারী একই ব্যক্তি হতে পারে না।”<ref>Elder, L., & Paul, R. (2009). The Art of Asking Essential Questions (5th Edition). Dillon Beach, CA: Foundation for Critical Thinking. p. 3.</ref> অর্থাৎ, কেউ যদি প্রাসঙ্গিক ও যৌক্তিক প্রশ্ন তৈরি করতে না পারে, তবে সে যুক্তিসংগত সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারবে না।
উপরন্তু, শুধুমাত্র সঠিক প্রশ্ন করাই যথেষ্ট নয়। সমালোচনামূলক চিন্তার সঙ্গে জ্ঞানের একটি সরাসরি সম্পর্ক আছে <ref name=":7" />। কেউ হয়তো জ্ঞান রাখে, কিন্তু তা প্রয়োগ করতে জানে না। আবার কেউ প্রশ্ন করতে দক্ষ, কিন্তু সেই উত্তরের গুণমান বিচার করার জন্য প্রয়োজনীয় জ্ঞান নেই।
সক্রেটীয় পদ্ধতিতে সমালোচনামূলক প্রশ্ন শেখানোর ক্ষেত্রে বোঝা গুরুত্বপূর্ণ যে, এখানে কোনো নির্দিষ্ট প্রশ্নের সেট নেই। কারণ প্রয়োজনীয় প্রশ্নগুলো নির্ভর করে প্রাসঙ্গিক প্রেক্ষাপটের উপর। তাই বিভিন্ন লেখক যেসব উদাহরণ দেন, তা একে অপরের থেকে যথেষ্ট আলাদা। তবু কিছু সাধারণ নির্দেশনা অনুসরণ করা যায় <ref>Micarelli, A., Stamper, J., & Panourgia, K. (2016). Intelligent Tutoring Systems: 13th International Conference, ITS 2016, Zagreb, Croatia, June 7-10, 2016. Proceedings. Springer.</ref>:
# পরিস্থিতি, বিষয়বস্তু, মতামত এবং সিদ্ধান্ত চিহ্নিত করতে ও বুঝতে প্রশ্ন ব্যবহার করা
# অনুমান, অস্পষ্টতা, দ্বন্দ্ব, বা বিভ্রান্তি খুঁজে বের করতে প্রশ্ন করা
# ধারণাগুলোর প্রভাব মূল্যায়নে প্রশ্ন ব্যবহার করা
সক্রেটীয় পদ্ধতির প্রথম অংশ হলো তথ্য সংগ্রহ। এখানে প্রশ্ন করে গুরুত্বপূর্ণ বিশদ জানা যায়, ধারণা স্পষ্ট হয়, এবং উদ্দেশ্য নির্ধারণ করা যায়। দ্বিতীয় অংশে প্রথম অংশের তথ্য ব্যবহার করে ধারণার যথার্থতা যাচাইয়ের জন্য গভীর বিশ্লেষণ করা হয়। তৃতীয় অংশে প্রশ্নের মাধ্যমে ধারণাগুলোর ফলাফল নিয়ে চিন্তা করা হয়।
কনকলিন (২০১২) এই তিন অংশকে ছয় ভাগে ভাগ করেছেন <ref name=":8">Conklin, W., & Teacher Created Materials. (2012). Strategies for Developing Higher-Order Thinking Skills, Grades 6 - 12. Shell Education.</ref>:
# বোঝার জন্য প্রশ্ন করা
# অনুমান নির্ধারণের জন্য প্রশ্ন করা
# কারণ / প্রমাণ খুঁজে বের করার জন্য প্রশ্ন করা
# দৃষ্টিভঙ্গি নির্ধারণের জন্য প্রশ্ন করা
# ফলাফল নির্ধারণে প্রশ্ন করা
# প্রদত্ত প্রশ্নটির মূল্যায়নে প্রশ্ন করা
প্রতিটি অংশের জন্য কিছু নমুনা প্রশ্ন এখানে দেওয়া হলো:<ref><nowiki>http://www.janinesmusicroom.com/socratic-questioning-part-i-the-framework.html</nowiki></ref>
বোঝার জন্য প্রশ্নসমূহ:
* আপনি তা কেন ভাবছেন?
* আপনি এই বিষয়ে এতদূর কী পড়েছেন?
* এটি আপনি এখন যা পড়ছেন তার সাথে কীভাবে সম্পর্কিত?
ধারণা নির্ধারণকারী প্রশ্নসমূহ:
* আপনি কীভাবে এই ধারণাটি যাচাই করতে পারেন?
* আর কী ধরা যেতে পারে?
* এ বিষয়ে আপনার মত কী? আপনি কি একমত, না কি অসম্মত?
কারণ / প্রমাণ আবিষ্কারের প্রশ্নসমূহ:
* আপনি কীভাবে নিশ্চিত হতে পারেন?
* এটা কেন ঘটছে?
* আপনার মতকে সমর্থন করার জন্য আপনার কাছে কী প্রমাণ আছে?
দৃষ্টিভঙ্গি নির্ধারণকারী প্রশ্নসমূহ:
* আপনি এই যুক্তিটিকে আরেকভাবে কীভাবে দেখতে পারেন?
* কোন দৃষ্টিভঙ্গিটি ভালো?
পরিণতি নির্ধারণকারী প্রশ্নসমূহ:
* এটি আপনার উপর কী প্রভাব ফেলে?
* এর কী প্রভাব রয়েছে?
কোন প্রশ্ন মূল্যায়নের জন্য প্রশ্নসমূহ:
* আমাকে এই প্রশ্নটি কেন জিজ্ঞাসা করা হয়েছে?
* কোন প্রশ্নগুলো সবচেয়ে আকর্ষণীয় উত্তর দিয়েছে?
* আর কী প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা উচিত?
লেখার ওপর নির্ভর করে, সক্রেটিক পদ্ধতি অত্যন্ত জটিল হতে পারে। এটি শিক্ষকদের জন্য এটি প্রয়োগ করাকে চ্যালেঞ্জিং করে তোলে। কনক্লিন (২০১২) বলেন, একজন শিক্ষককে এই ধরনের প্রশ্ন আগেই পরিকল্পনা করতে হবে, পাঠ চলাকালীন তাৎক্ষণিকভাবে তৈরি করার উপর নির্ভর না করে <ref name=":82" />।
[[চিত্র:Blooms_rose.svg|alt= Bloom's Taxonomy|থাম্ব|Bloom's Taxonomy]]
==== ব্লুম’স ট্যাক্সোনমি ====
ব্লুম’স ট্যাক্সোনমি প্রথম তৈরি হয় ১৯৫৬ সালে, শিক্ষার্থীদের উচ্চস্তরের চিন্তাভাবনা মূল্যায়নের জন্য এবং জ্ঞানমূলক শিক্ষাগত লক্ষ্য নির্ধারণের উদ্দেশ্যে <ref>Bloom, B. S., Krathwohl, D. R., & Masia, B. B. (1984). Taxonomy of educational objectives: the classification of educational goals. Longman.</ref>। পরবর্তীতে এটি রূপান্তরিত হয়ে সমালোচনামূলক চিন্তনের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য একটি কার্যকরী সরঞ্জাম হয়ে ওঠে, বিশেষ করে সমালোচনামূলক প্রশ্নের মাধ্যমে <ref>Blosser, P. E. (1991). How to Ask the Right Questions. NSTA Press.</ref>। এই সমালোচনামূলক প্রশ্নগুলো ব্লুম’স শ্রেণিবিন্যাসের বোঝা, প্রয়োগ, বিশ্লেষণ, সংকলন এবং মূল্যায়ন পর্যায়ের সাথে সম্পর্কিত। এই শ্রেণিগুলো সক্রেটিক পদ্ধতির সাথে মিল খুঁজে পাওয়া যায়, যেমন বোঝা, বিশ্লেষণ এবং মূল্যায়নের জন্য প্রশ্ন করার গুরুত্ব। মুন (২০০৭) মনে করেন, “মূল্যায়ন”, “প্রতিফলন” এবং “বোঝা” সমালোচনামূলক চিন্তনের মূল উপাদান <ref name=":03" />। এটি সমালোচনামূলক চিন্তার ধারণায় অবশ্যই অন্তর্ভুক্ত হওয়া উচিত। একই সময়ে, ব্লুম’স ট্যাক্সোনমি একটি স্বাভাবিক প্রশ্নমালা তৈরি করে যা বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে মানিয়ে নেওয়া যায় <ref>Wang, J.-F., & Lau, R. (2013). Advances in Web-Based Learning -- ICWL 2013: 12th International Conference, Kenting, Taiwan, October 6-9, 2013, Proceedings. Springer.</ref>।
একটি উদাহরণ হিসেবে, একজন শিক্ষক নিউইয়র্কের একটি স্পিকইজি বারের ছবি ব্যবহার করেন। ব্লুম’স ট্যাক্সোনমি ব্যবহার করে শিক্ষক নিম্নলিখিত সমালোচনামূলক প্রশ্নগুলো করতে পারেন এবং তার মডেল দিতে পারেন <ref name=":34" />:
# জ্ঞান: আপনি ছবিতে কী দেখছেন?
# অনুধাবন: এই ধরনের জায়গায় মানুষ কী করে?
# বিশ্লেষণ: ছবিতে এত পুলিশ কেন আছে?
# প্রয়োগ: বর্তমানে আমরা এ ধরনের কোন পরিস্থিতি দেখতে পাই?
# সংকলন: যদি এমন আচরণ নিষিদ্ধকারী কোনো আইন না থাকতো?
# মূল্যায়ন: আপনি যদি এই লোকগুলোর একজন হতেন, তাহলে কেমন অনুভব করতেন? কেন?
[[চিত্র:Depth_of_Knowledge.png|alt=Norman Webb's Depth of Knowledge|থাম্ব|Norman Webb's Depth of Knowledge]]
==== নরম্যান ওয়েবের জ্ঞানের গভীরতা (ডিওকে) ====
ওয়েবের জ্ঞানের গভীরতা (ডিওকে) ট্যাক্সোনমি তৈরি হয় ২০০২ সালে ব্লুম’স ট্যাক্সোনমির প্রতিক্রিয়া হিসেবে <ref name=":9">Gregory, G., & Kaufeldt, M. (2015). The Motivated Brain: Improving Student Attention, Engagement, and Perseverance. ASCD.</ref>। ব্লুম’স ট্যাক্সোনমির সাথে এর বিপরীতে, ওয়েবের ডিওকে চিন্তাভাবনাকে মূল্যায়ন করে তার জটিলতার দিক থেকে, কেবলমাত্র কষ্টসাধ্যতার ভিত্তিতে নয় <ref name=":9" />।
ওয়েবের ডিওকের চারটি স্তর:
# স্মরণ ও পুনরুৎপাদন
# দক্ষতা ও ধারণার সাথে কাজ করা
# স্বল্পমেয়াদী কৌশলগত চিন্তাভাবনা
# বিস্তৃত কৌশলগত চিন্তাভাবনা
স্তর ১ ব্লুম’স ট্যাক্সোনমির তথ্য মনে রাখা এবং পুনরায় স্মরণ করার স্তরের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ। এই স্তরের সমালোচনামূলক প্রশ্ন হতে পারে:
* মূল চরিত্রের নাম কী?
* অলিভার টুইস্ট ফ্যাজিনকে কী জিজ্ঞাসা করেছিল?
স্তর ২-এ বিভিন্ন দক্ষতা অন্তর্ভুক্ত যেমন শ্রেণিবিন্যাস, তুলনা, পূর্বাভাস, তথ্য সংগ্রহ ও উপস্থাপন। এসব দক্ষতা থেকে নিচের প্রশ্নগুলো আসতে পারে:
* এই দুটি ধারণার মধ্যে কী মিল-অমিল?
* আপনি কীভাবে এই বস্তুগুলো শ্রেণিবিন্যাস করবেন?
* আপনি কীভাবে এই পাঠের সারাংশ তৈরি করবেন?
স্তর ৩ বিশ্লেষণ ও মূল্যায়নের সাথে সম্পর্কিত। এটি আবার ব্লুম’স ট্যাক্সোনমির সাথে মিলে যায়।
* আপনি কী সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেন?
* এটি ব্যাখ্যা করতে আপনি কী তত্ত্ব দাঁড় করাতে পারেন?
* সবচেয়ে ভালো উত্তর কোনটি? কেন?
একই সময়ে, ডিওকের স্তর ৩ সক্রেটিক পদ্ধতির সাথে মিল খুঁজে পায় কারণ এখানে ব্যক্তিকে নিজের মত পক্ষে যুক্তি ও প্রমাণ দিয়ে কথা বলতে হয়।
স্তর ৪ হলো সবচেয়ে জটিল এবং চ্যালেঞ্জিং। এটি আন্তঃবিষয়ক সংযোগ তৈরি করা এবং নতুন ধারণা / সমাধান তৈরি করার উপর জোর দেয়।
যেহেতু ডিওকে প্রতিটি স্তরে আরও জটিল হয়ে ওঠে এবং যুক্তি ও প্রমাণ ব্যবহার করে নিজ অবস্থান সমর্থনের প্রয়োজন পড়ে, এটি সক্রেটিক পদ্ধতির সাথে সাদৃশ্য তৈরি করে। একই সাথে, যেহেতু এটি সমালোচনামূলক চিন্তা মূল্যায়নের মান নির্ধারণে ব্যবহৃত হয়, এটি ব্লুম’স ট্যাক্সোনমির সাথে সাদৃশ্যযুক্ত।
==== উইলিয়ামস মডেল ====
[[চিত্র:KWL_Chart.jpg|alt= The KWL method shares some similarities to the 'wonder' aspect of the Williams Model|থাম্ব|কেডব্লিউএল পদ্ধতিটি উইলিয়ামস মডেলের 'বিস্ময়কর' দিকের সাথে কিছু মিল ভাগ করে নেয়।]]
উইলিয়ামস মডেলটি ফ্র্যাঙ্ক উইলিয়ামস ১৯৭০-এর দশকে তৈরি করেন <ref name=":82" />। অন্যান্য পদ্ধতির এর বিপরীতে, উইলিয়ামস মডেল তৈরি করা হয়েছিল সৃজনশীল চিন্তাভাবনা উৎসাহিত করার জন্য সমালোচনামূলক প্রশ্ন ব্যবহার করে <ref name=":82" />। এই মডেল নিম্নলিখিত উপাদানগুলো নিয়ে গঠিত:
* সাবলীলতা
* নমনীয়তা
* বিস্তারিততা
* মৌলিকতা
* কৌতূহল
* ঝুঁকি নেওয়া
* জটিলতা
* কল্পনাশক্তি
সাবলীলতা সংক্রান্ত সমালোচনামূলক প্রশ্নগুলো এক ধরনের ব্রেইনস্টর্মিং এর মতো। এখানে প্রশ্নগুলো ধারণা ও বিকল্প উত্পন্ন করার জন্য তৈরি করা হয় <ref name=":82" />। ‘নমনীয়তা’র প্রশ্ন বিদ্যমান ধারণার বিভিন্ন রূপ উত্পন্ন করে। ‘বিস্তার’ প্রশ্ন বিদ্যমান ধারণার উপর নির্মাণ করে এবং বিস্তারিততা বাড়ায়। ‘মৌলিকতা’ প্রশ্ন নতুন ধারণা তৈরির দিকে পরিচালিত করে। কৌতূহল সম্পর্কিত অংশ KWL পদ্ধতির ‘Wonder’ ধাপের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ <ref>Carol, K., & Sandi, Z. (2014). Q Tasks, 2nd Edition: How to empower students to ask questions and care about answers. Pembroke Publishers Limited.</ref>। ‘ঝুঁকি নেওয়া’ প্রশ্ন পরীক্ষামূলক চিন্তা উসকে দেয়। যদিও ‘জটিলতা’ শব্দটি ‘বিস্তার’-এর মতো শোনায়, এটি বিশৃঙ্খলার মধ্যে থেকে ক্রম বের করা, সংযোগ তৈরি করা, এবং তথ্যের ঘাটতি পূরণের বিষয়ে। সর্বশেষ উপাদান হলো ‘কল্পনা’। এটি প্রশ্ন ব্যবহার করে কল্পনাশক্তির মাধ্যমে ভাবতে সহায়তা করে।
[[চিত্র:Wiggins_&_McTighe’s_Six_Facets_of_Understanding_.png|alt=Wiggins & McTighe’s Six Facets of Understanding|থাম্ব|উইগিন্স এবং ম্যাকটাইগের বোঝাপড়ার ছয়টি দিক]]
==== উইগিন্স ও ম্যাকটাই-এর ছয়টি অনুধাবন দিক ====
উইগিন্স ও ম্যাকটাই-এর ‘ছয়টি অনুধাবনের দিক’ সমালোচনামূলক চিন্তার গভীর অনুধাবনের উপর ভিত্তি করে তৈরি <ref name=":10">Doubet, K. J., & Hockett, J. A. (2015). Differentiation in Middle and High School: Strategies to Engage All Learners. ASCD.</ref>। এই পদ্ধতি শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের জন্য প্রশ্ন তৈরি করতে ব্যবহার করেন। এটি সমালোচনামূলক চিন্তনকে উৎসাহ দেয় <ref name=":10" />। এই ছয়টি দিক হলো: ব্যাখ্যা, ব্যাখ্যাত্মকতা, প্রয়োগ, দৃষ্টিভঙ্গি, সহানুভূতি এবং আত্ম-জ্ঞান <ref name=":11"><nowiki>http://www.educ.kent.edu/fundedprojects/tspt/units/sixfacets.htm</nowiki></ref>।
‘ব্যাখ্যা’ দিকটিতে ‘কেন’ এবং ‘কীভাবে’ প্রশ্নগুলো আধিপত্য করে। এটি তত্ত্ব এবং যুক্তি তৈরি করতে সহায়ক <ref name=":12">McTighe, J., & Wiggins, G. (2013). Essential Questions: Opening Doors to Student Understanding (1st ed.). Alexandria, Va. USA: Association for Supervision & Curriculum Development.</ref>:
* এটা কীভাবে ঘটল? আপনি কেন তাই মনে করেন?
* এটি অন্য তত্ত্বের সাথে কীভাবে সংযুক্ত?
ব্যাখ্যাত্মক প্রশ্নগুলো ‘পাঠের ভিতরে’ পড়া, উপমা বা রূপক তৈরি করা এবং ধারণাকে ব্যাখ্যা করার জন্য লিখিত বা চিত্রিত পরিস্থিতি তৈরি করতে সাহায্য করে। উদাহরণস্বরূপ:
* আপনি কীভাবে এই ধারণাটি অন্যভাবে ব্যাখ্যা করবেন?
* আপনি কেন মনে করেন, উভয় পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব আছে?
* এটি জানা কেন গুরুত্বপূর্ণ?
প্রয়োগ সম্পর্কিত প্রশ্নগুলো জ্ঞান প্রয়োগ করার বিষয়ে। এর একটি অংশ পূর্বানুমান নির্ভর করে পূর্ব অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে এবং আরেকটি অংশ অতীত থেকে শেখার বিষয়।
* আমরা কীভাবে এটি আবার ঘটতে দেওয়া থেকে বিরত থাকতে পারি?
* আপনি কী মনে করেন, পরবর্তীতে কী হবে?
* এটি কীভাবে কাজ করে?
দৃষ্টিভঙ্গি প্রশ্নগুলো অন্যের দৃষ্টিভঙ্গি বোঝা এবং তাদের দৃষ্টিভঙ্গির বিশ্লেষণ ও সমালোচনার দিকে মনোনিবেশ করে <ref name=":11" />। উদাহরণস্বরূপ:
* এই বিষয়ে বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি কী কী?
* কবিতায় কে কথা বলছে?
* কার দৃষ্টিভঙ্গি এখানে প্রকাশিত হয়েছে?
* অন্য একজনের দৃষ্টিতে এটি কীভাবে দেখাত?
সহানুভূতিমূলক প্রশ্নগুলো অন্যের অবস্থান অনুধাবনের মাধ্যমে মনের উন্মুক্ততা তৈরি করে, যেন অন্যের জায়গায় নিজেকে কল্পনা করা যায়।
* আপনি যদি একই অবস্থায় থাকতেন, তাহলে কেমন অনুভব করতেন?
* ঐ পরিস্থিতিতে বাস করলে কেমন হতো?
* কেউ যদি আপনার পরিবারের সাথে এটা করত, আপনি কীভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাতেন?
আত্ম-জ্ঞানভিত্তিক প্রশ্নগুলো আত্ম-অনুধাবনের দিকে পরিচালিত করে এবং নিজের পক্ষপাত, মূল্যবোধ এবং পূর্বাগ্রহগুলো চিনতে সাহায্য করে যা অন্যদের বিচার করার সময় প্রভাব ফেলে <ref name=":11" />। উদাহরণস্বরূপ:
* আমার জীবন এই বিষয়ে আমার দৃষ্টিভঙ্গিকে কীভাবে গঠন করেছে?
* আমি আসলে ঐ সম্প্রদায়ের মানুষের জীবনের সম্পর্কে কী জানি?
* আমি কী জ্ঞান বা অভিজ্ঞতার ঘাটতি অনুভব করি?
* আমি যেটা জানি, তা কোথা থেকে এল? সেই তথ্য বা ধারণার উৎস কী?
‘ছয়টি অনুধাবন দিক’-এর মধ্যে থাকা সমস্ত প্রশ্নের বৈশিষ্ট্য নিম্নরূপ <ref name=":12" />:
# সেগুলো উন্মুক্ত
# গভীর চিন্তার প্রয়োজন
# সমালোচনামূলক চিন্তন জরুরি
# জ্ঞান হস্তান্তরকে উৎসাহ দেয়
# এগুলো অনুস্মারক প্রশ্ন তৈরি করে
# এর উত্তর প্রমাণ সহ প্রতিষ্ঠিত হতে হয়
একটি শ্রেণিকক্ষ পরিবেশে সমালোচনামূলক প্রশ্ন প্রয়োগের উদাহরণ দেখতে চাইলে, এই পাতার নিচের বহিঃসংযোগ অংশে দেখুন।
= সমস্যা সমাধান =
প্রতিদিনের জীবনে আমরা নানা সমস্যায় ঘেরা থাকি, যেগুলোর সমাধান আমাদের লক্ষ্য পূরণে গুরুত্বপূর্ণ এবং আমাদের মনোযোগ দাবি করে <ref name=":20">Bruning, G.J. Schraw & M.M. Norby (2011) Cognitive Psychology and Instruction (5th Ed). New York: Pearson.</ref>। আমরা এমন সমস্যার মুখোমুখি হতে পারি যেমন: কর্মস্থলে পৌঁছানোর জন্য সেরা রুট নির্ধারণ করা, ইন্টারভিউয়ের জন্য কী পরা উচিত, একটি যুক্তিভিত্তিক প্রবন্ধে ভালো করা, অথবা একটি দ্বিঘাত সমীকরণের সমাধান খুঁজে বের করা। একটি পরিস্থিতিকে সমস্যা হিসেবে বিবেচনা করা হয় যখন সেই সমস্যার সমাধান চাওয়া হয়, কিন্তু সমাধানটি সমাধানকারী ব্যক্তির কাছে স্পষ্ট নয় <ref>Anderson, J. R. Cognitive Psychology and Its Implications. New York: Freeman, 1980</ref>। '''<u>সমস্যা সমাধান</u>''' হচ্ছে এই সমস্যাগুলোর সমাধান খুঁজে বের করার প্রক্রিয়া <ref name=":21">Mayer, R. E., & Wittrock, R. C. (2006). Problem solving. In P. A. Alexander & P. H. Winne (Eds.), Handbook of educational psychology (2nd ed., pp. 287–304). Mahwah, NJ: Erlbaum.</ref>। '''''যদিও এরা সম্পর্কিত, সমালোচনামূলক চিন্তন মূলত সমস্যা সমাধানের চেয়ে আলাদা। সমালোচনামূলক চিন্তা একটি প্রক্রিয়া যা সমস্যা সমাধানে প্রয়োগ করা যেতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, শিক্ষার্থীরা এমন অনির্দিষ্ট সমস্যার মুখোমুখি হলে সমালোচনামূলক চিন্তায় জড়িয়ে পড়তে পারে যেখানে অনেক বিকল্প বা সম্ভাব্য উত্তর বিবেচনা করতে হয়। মূলত। এরা সমালোচনামূলকভাবে চিন্তা করতে সক্ষম, তারা কার্যকরভাবে সমস্যা সমাধান করতে সক্ষম <ref>Snyder, M. J., & Snyder, L. G. (2008). Teaching critical thinking and Problem solving skills. Delta Pi Epsilon Journal, L(2), 90-99.</ref>।'''''
[[চিত্র:T_vs_PBL.png|থাম্ব|সমস্যাভিত্তিক শেখা ঐতিহ্যবাহী ধারার চেয়ে আলাদা। কারণ এটি শিক্ষার্থীদের একটি প্রশ্নের সমাধানের দিকে মনোনিবেশ করতে সহায়তা করে।]]
এই অধ্যায়ে প্রথমে ''[[চিন্তন ও নির্দেশনা/সমস্যা সমাধান, সমালোচনামূলক চিন্তন ও যুক্তি#শব্দকোষ Well-defined Problems|সুস্পষ্ট সমস্যা]]'' এবং ''[[চিন্তন ও নির্দেশনা/সমস্যা সমাধান, সমালোচনামূলক চিন্তন ও যুক্তি#শব্দকোষ Ill-defined Problems|অনির্দিষ্ট সমস্যা]]'' এর মধ্যে পার্থক্য করা হবে, এরপর সমস্যাগুলোর ধারণা তৈরি ও চিত্রায়নের ব্যবহার আলোচনা করা হবে এবং শেষে মানসিক স্থবিরতা কীভাবে সফল সমস্যা সমাধানে বাধা হতে পারে তা ব্যাখ্যা করা হবে।
=== সুস্পষ্ট ও অনির্দিষ্ট সমস্যা ===
সমস্যাগুলোকে সাধারণত দুটি ধরনের মধ্যে ভাগ করা যায়: অনির্দিষ্ট অথবা সুস্পষ্ট <ref name=":20" />। একটি সুস্পষ্ট সমস্যার উদাহরণ হতে পারে একটি বীজগাণিতিক সমস্যা (যেমন: ২x - ২৯ = ৭)। এখানে x-এর মান বের করতে হবে। আরেকটি উদাহরণ হতে পারে একটি টার্কির ওজন কিলোগ্রাম থেকে পাউন্ডে রূপান্তর করা। উভয় ক্ষেত্রেই এটি সুস্পষ্ট সমস্যা হিসেবে বিবেচিত হয় কারণ এখানে একটি নির্দিষ্ট সমাধান রয়েছে এবং সেই সমাধান খুঁজে পাওয়ার একটি স্পষ্ট পদ্ধতি রয়েছে।
এর বিপরীতে, অনির্দিষ্ট সমস্যা হলো এমন সব সমস্যা যেগুলো আমরা দৈনন্দিন জীবনে মোকাবিলা করি। এখানে লক্ষ্য অস্পষ্ট এবং তথ্যগুলো সাংঘর্ষিক, অসম্পূর্ণ বা অনির্ণীত থাকে <ref name=":22">Voss, J. F. (1988). Problem solving and reasoning in ill-structured domains. In C. Antaki (Ed.), Analyzing everyday explanation: A casebook of methods (pp. 74-93). London: SAGE Publications.</ref>। অনির্দিষ্ট সমস্যার একটি উদাহরণ হতে পারে “জলবায়ু পরিবর্তনের সমাধান কীভাবে করা যায়?” অথবা “দারিদ্র্য নিরসনের উপায় কী হওয়া উচিত?” কারণ এই প্রশ্নগুলোর একক কোনো সঠিক উত্তর নেই। এই সমস্যাগুলোর বিভিন্ন সমাধানের সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ এই সমস্যাগুলোর জন্য কোনো সর্বজনগ্রাহ্য কৌশল নেই। মানুষ এসব সমস্যার সমাধান ভিন্নভাবে করে থাকে, তাদের ধারণা, তত্ত্ব প্রয়োগ বা মূল্যবোধ অনুসারে<ref name=":31">Pretz, J. E., Naples, A. J., & Sternberg, R. J. (2003). Recognizing, defining, and representing problems. In J. E. Davidson and R. J. Sternberg (Eds.), The psychology of problem solving (pp. 3–30). Cambridge, UK: Cam- bridge University Press.</ref>। তদুপরি, প্রতিটি সমাধানের নিজস্ব শক্তি ও দুর্বলতা রয়েছে <ref name=":31" />।
{| border="1"
|+'''অনির্দিষ্ট বনাম সুস্পষ্ট সমস্যা'''
!অনির্দিষ্ট
!সুস্পষ্ট
|-
|বর্তমান অবস্থা স্পষ্ট নয়, লক্ষ্য অস্পষ্ট, অনুমোদিত পদ্ধতির সীমা অনির্দিষ্ট এবং একাধিক সমাধান থাকতে পারে <ref name=":22" />।
|বর্তমান অবস্থা স্পষ্ট, লক্ষ্য স্পষ্টভাবে নির্ধারিত, অনুমোদিত পদ্ধতি নির্দিষ্ট এবং একটি নির্দিষ্ট সমাধান রয়েছে <ref name=":22" />।
|-
|উদাহরণ: আমরা কীভাবে বৈশ্বিক উষ্ণায়নের সমাধান করব?
|উদাহরণ: ৫x = ১০
|-
|''[[চিন্তন ও নির্দেশনা/সমস্যা সমাধান, সমালোচনামূলক চিন্তন ও যুক্তি#শব্দকোষ Argumentation|যুক্তিতর্ক]]'', মনোভাব ও "মেটাকগনিশন" উচ্চ সমস্যা সমাধান স্কোরের পূর্বাভাস দেয় <ref name=":322">Shin, N., Jonassen, D. H., & McGee, S. (2003). Predictors of Well-Structured and Ill-Structured Problem Solving in an Astronomy Simulation. Journal Of Research In Science Teaching, 40(1), 6-33.8</ref>
|বিষয়ভিত্তিক জ্ঞান ও যৌক্তিকতা দক্ষতা সমস্যা সমাধানের স্কোরে প্রভাব ফেলে <ref name=":322" />।
|}
সারণি ১: সুস্পষ্ট এবং অনির্দিষ্ট সমস্যার পার্থক্য সংক্ষেপে উপস্থাপন করে।
==== অনির্দিষ্ট এবং সুস্পষ্ট সমস্যার সমাধানে পার্থক্য ====
প্রাথমিক পর্যায়ে, গবেষকরা মনে করতেন যে উভয় ধরনের সমস্যা একইভাবে সমাধান করা যায় <ref>Simon, D. P. (1978). Information processing theory of human problem solving. In W. K. Estes (Ed.), Handbook of learning and cognitive process. Hillsdale, NJ: Lawrence Erlbau</ref>, তবে আধুনিক গবেষণাগুলো এই সমাধান প্রক্রিয়ায় কিছু উল্লেখযোগ্য পার্থক্য তুলে ধরেছে।
কিচেনার (১৯৮৩) প্রস্তাব করেন, সুস্পষ্ট সমস্যাগুলোতে '''[[চিন্তন ও নির্দেশনা/সমস্যা সমাধান, সমালোচনামূলক চিন্তন ও যুক্তি#শব্দকোষ Epistemological Beliefs|জ্ঞানতাত্ত্বিক বিশ্বাস]]''' সংক্রান্ত কোনো অনুমান থাকে না <ref name=":20" />। কারণ এদের একটি স্পষ্ট এবং নির্দিষ্ট সমাধান থাকে। এখানে অনির্দিষ্ট সমস্যাগুলোর জন্য এই ধরনের বিশ্বাস প্রয়োজন হয় কারণ তাদের একটি স্পষ্ট এবং নির্দিষ্ট সমাধান নেই <ref>Kitchener, K.S., Cognition, metacognition, and epistemic cognition. Human Development, 1983. 26: p. 222-232.</ref>। এই ধারণার সমর্থনে, শ্র, ডাঙ্কল এবং বেন্ডিক্সেন ২০০ অংশগ্রহণকারীর উপর একটি গবেষণা করেন। এখানে তারা দেখতে পান সুস্পষ্ট সমস্যায় পারফর্ম করার দক্ষতা অনির্দিষ্ট সমস্যায় দক্ষতা প্রদর্শনের পূর্বাভাস নয়। কারণ অনির্দিষ্ট সমস্যা জ্ঞানের বিষয়ে ভিন্ন বিশ্বাস সক্রিয় করে <ref>Schraw G., Dunkle, M. E., & Bendixen L. D. (1995). Cognitive processes in well-structured and ill-structured problem solving. Applied Cognitive Psychology, 9, 523–538.</ref>।
শিন, জোনাসেন এবং ম্যাকগি (২০০৩) <ref name=":322" /> আরও দেখেছেন যে অনির্দিষ্ট সমস্যা সমাধানে এমন কিছু দক্ষতা কাজে লাগে যা সুস্পষ্ট সমস্যার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয় না। সুস্পষ্ট সমস্যায় বিষয়ভিত্তিক জ্ঞান এবং যৌক্তিকতা সমস্যা সমাধান স্কোরকে প্রভাবিত করে। এখানে অনির্দিষ্ট সমস্যায় যুক্তিতর্ক, মনোভাব এবং '''<u>মেটাকগনিশন</u>''' বেশি প্রভাব ফেলে।
এই অনুসন্ধানের সাথে সঙ্গতি রেখে, চো এবং জোনাসেন (২০০২) <ref>Cho, K. L., & Jonassen, D. H. (2002) The effects of argumentation scaffolds on argumentation and problem solving. Educational Technology: Research & Development, 50(3), 5-22.</ref> দেখিয়েছেন যে অনির্দিষ্ট সমস্যা সমাধানের জন্য দলগুলো আরও বেশি যুক্তিতর্ক ও সমস্যা সমাধানের কৌশল তৈরি করে কারণ তাদেরকে বিভিন্ন সমাধান ও দৃষ্টিভঙ্গি বিবেচনায় নিতে হয়। এর বিপরীতে, একই যুক্তিতর্ক পদ্ধতি সুস্পষ্ট সমস্যার ক্ষেত্রে অংশগ্রহণকারীদের কার্যক্রমে বিঘ্ন ঘটায়। এই গবেষণা দুটি ধরনের সমস্যার সমাধান প্রক্রিয়ায় মৌলিক পার্থক্য নির্দেশ করে।
===== শ্রেণিকক্ষ পরিবেশের প্রভাব =====
সুস্পষ্ট এবং অনির্দিষ্ট সমস্যার মৌলিক পার্থক্য নির্দেশ করে অনির্দিষ্ট সমস্যা সমাধানের জন্য ভিন্ন ধরনের দক্ষতা, কৌশল ও পন্থা দরকার <ref name=":322" />। অথচ অধিকাংশ শিক্ষাগত কার্যক্রম সুস্পষ্ট সমস্যার সমাধানে শিক্ষার্থীদের যুক্ত করে, যেমন পাঠ্যপুস্তকের শেষে থাকা সমস্যা বা মানসম্পন্ন পরীক্ষাগুলোর প্রশ্ন <ref name=":23">Jonassen, D. H. (2000). Revisiting activity theory as a framework for designing student-centered learning environments. In D. H. Jonassen, S. M. Land, D. H. Jonassen, S. M. Land (Eds.) , Theoretical foundations of learning environments (pp. 89-121). Mahwah, NJ, US: Lawrence Erlbaum Associates Publishers.</ref>। দুর্ভাগ্যজনকভাবে, সুস্পষ্ট সমস্যার জন্য ব্যবহৃত কৌশল বাস্তব জীবনের অনির্দিষ্ট সমস্যার ক্ষেত্রে তেমন কার্যকর নয় <ref>Spiro, R. J., Feltovich, P. J., Jacobson, M. J., & Coulson, R. L. (1992). Cognitive flexibility, constructivism, and hypertext: Random access instruction for advanced knowledge acquisition in ill-structured domains. In T. M. Duffy, D. H. Jonassen, T. M. Duffy, D. H. Jonassen (Eds.) , Constructivism and the technology of instruction: A conversation (pp. 57-75). Hillsdale, NJ, England: Lawrence Erlbaum Associates, Inc.</ref>। কারণ সুস্পষ্ট সমস্যার জন্য ব্যবহৃত সরলীকৃত কৌশলগুলোর বাস্তব জীবনের সমস্যার সাথে প্রায় কোনো মিল নেই <ref name=":23" />
এটি নির্দেশ করে শ্রেণিকক্ষ এমনভাবে পুনর্গঠন করা উচিত যা শিক্ষার্থীদের অনির্দিষ্ট সমস্যার সমাধানে সহায়তা করে। এর একটি উপায় হতে পারে শিক্ষার্থীদের এমন প্রশ্ন জিজ্ঞেস করা যা বাস্তব জীবনের সমস্যার প্রতিফলন করে <ref name=":24">Barrows, H. S. (1996). “Problem-based learning in medicine and beyond: A brief overview.” In L. Wilkerson & W. H. Gijselaers (Eds.), Bringing ''[[চিন্তন ও নির্দেশনা/সমস্যা সমাধান, সমালোচনামূলক চিন্তন ও যুক্তি#শব্দকোষ Problem-Based Learning|Problem-Based Learning]]'' to higher education: Theory and practice (pp. 3-12). San Francisco: Jossey Bass.</ref>। এই পদ্ধতিকে বলা হয় '''<u>সমস্যাভিত্তিক শিক্ষা</u>''' এবং এই শ্রেণিকক্ষ কাঠামোতে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন উৎস থেকে প্রমাণ, তথ্য ও উপাত্ত সংগ্রহ করে প্রশ্নের সমাধান খুঁজে বের করার সুযোগ পায় <ref name=":25">(Barron, B., & Darling-Hammond, L. (2008). Teaching for meaningful learning: A review of research on inquiry-based and cooperative learning. Powerful Learning: What We Know About Teaching for Understanding (pp. 11-70). San Francisco, CA: Jossey-Bass.)</ref>। এতে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি ও ব্যাখ্যা বিবেচনা করে তথ্য বিশ্লেষণ এবং উপস্থাপন শেখে <ref name=":25" />।
====== শ্রেণিকক্ষের কাঠামো ======
সমস্যাভিত্তিক শিক্ষায়, শিক্ষার্থীরা ছোট ছোট দলে কাজ করে যেখানে তারা তাৎপর্যপূর্ণ সমস্যার অনুসন্ধান করে, সমস্যার সমাধানে প্রয়োজনীয় তথ্য চিহ্নিত করে এবং কার্যকর সমাধানের পদ্ধতি নির্ধারণ করে <ref name=":24" />। শিক্ষার্থীরা এই কৌশলগুলো প্রয়োগ করে, তাদের ফলাফল বিশ্লেষণ করে এবং নতুন কৌশল উদ্ভাবন করে যতক্ষণ না তারা কার্যকর সমাধানে পৌঁছায় <ref name=":24" />। এই শ্রেণিকক্ষ কাঠামোতে শিক্ষক শিক্ষণ প্রক্রিয়াকে পরিচালনা করেন, অংশগ্রহণে উৎসাহ দেন এবং শিক্ষার্থীদের বিশ্লেষণ ও সমালোচনামূলক চিন্তা বাড়াতে প্রশ্ন করেন <ref name=":24" />। এছাড়াও শিক্ষকরা প্রথাগত লেকচার এবং ব্যাখ্যা প্রদান করতে পারেন যা শিক্ষার্থীদের অনুসন্ধান ভিত্তিক শিক্ষায় সহায়তা করে <ref name=":24" />।
সমস্যাভিত্তিক শিক্ষার কার্যকারিতা সমর্থনে ডচি, সেজার্স, ভ্যান ডেন বোশে এবং গিজবেলস (২০০৩) পরিচালিত একটি মেটা-বিশ্লেষণ দেখিয়েছে যে সমস্যাভিত্তিক শিক্ষা ঐতিহ্যবাহী শিক্ষার চেয়ে বেশি কার্যকর, বিশেষত নমনীয় সমস্যা সমাধান, জ্ঞানের প্রয়োগ এবং অনুমান তৈরির ক্ষেত্রে <ref>Dochy, F., Segers, M., Van den Bossche, P., & Gijbels, D. (2003). Effects of problembased learning: A meta-analysis. Learning and Instruction, 13, 533–568.</ref>।
অধিকন্তু, উইলিয়ামস, হেমস্ট্রিট, লিউ এবং স্মিথ (১৯৯৮) করেছিলেন যে এই পদ্ধতি বিজ্ঞানে ধারণাগত বোঝাপড়ায় আরও উন্নতি সাধন করে<ref>Williams, D., Hemstreet, S., Liu, M.& Smith, V. (1998). Examining how middle school students use problem-based learning software. Unpublished paper presented at the ED-Media/ED Telecom ‘98 world Conference on Educational Multimedia and Hypermedia & World Conference on Educational Telecommunications, Freiberg, Germany.</ref>। সর্বশেষে গ্যালাঘের, স্টেপিয়েন, এবং রোজেনথাল (১৯৯২) দেখেছেন, প্রচলিত পদ্ধতি বনাম প্রকল্প-ভিত্তিক পদ্ধতির তুলনায়, সমস্যা-ভিত্তিক শিক্ষায় শিক্ষার্থীরা সমস্যাকে সংজ্ঞায়িত করার দক্ষতা প্রদর্শন করে<ref>Gallagher, S. A., Stepien, W. J., & Rosenthal, H. (1992). The effects of problem based learning on problem solving. Gifted Child Quarterly, 36, 195–200. Gertzman, A., & Kolodner, J. L.</ref>। এই গবেষণাগুলি সমস্যা-ভিত্তিক শিক্ষার সুবিধাগুলি তুলে ধরে যা বিজ্ঞানে সমস্যা বোঝা ও সংজ্ঞায়িত করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। সমস্যা সংজ্ঞায়নের ইতিবাচক প্রভাবের পরিপ্রেক্ষিতে, এই শিক্ষাগত পদ্ধতি পরবর্তী উপ-ভাষ্য 'সমস্যার ধারণাকরণ' বিষয়েও প্রযোজ্য হতে পারে।
=== সমস্যা সমাধানের ধাপ ===
সমস্যা সমাধান সংক্রান্ত গবেষণায় সাধারণভাবে পাঁচটি ধাপ চিহ্নিত করা হয়েছে: (১) সমস্যা শনাক্তকরণ, (২) সমস্যা উপস্থাপন, (৩) উপযুক্ত কৌশল নির্বাচন, (৪) কৌশল বাস্তবায়ন, এবং (৫) সমাধান মূল্যায়ন<ref name=":202" />। এই আলোচনা সমস্যার প্রথম দুটি ধাপে গুরুত্ব দেবে এবং বিশ্লেষণ করবে কীভাবে এই ধাপগুলো সমস্যা সমাধানে প্রভাব ফেলে।
[[চিত্র:PBL_Cycle.png|থাম্ব|সমস্যা সমাধানের পাঁচটি ধাপ একটি চক্র তৈরি করে যা শিক্ষার্থীদের সর্বোত্তম সমাধান চিন্তার ধারাকে পরিশোধিত করতে সাহায্য করে।]]
==== সমস্যার ধারণাকরণ ====
সমস্যা সমাধানের সবচেয়ে ক্লান্তিকর এবং কঠিন দিকগুলোর একটি হলো সমস্যাটি শনাক্ত করা। কারণ এটি করতে হলে সমস্যাটিকে বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে বিবেচনা করতে হয় এবং খুব তাড়াতাড়ি কোনো এক নির্দিষ্ট সমাধানে পৌঁছানোর প্রবণতা থেকে বিরত থাকতে হয়<ref name=":212" />। তদুপরি, এটি স্পষ্টভাবে সমস্যা নির্ধারণে সময় ব্যয় করাও গুরুত্বপূর্ণ। কারণ কোনো নির্দিষ্ট সমস্যা 'ধারণা করতে' ব্যয় করা সময় এবং সমাধানের মানের মধ্যে একটি সম্পর্ক রয়েছে<ref name=":202" />।
উদাহরণস্বরূপ, নিম্নোক্ত সমস্যাটি বিবেচনা করুন:
''বেকা তার ওভেনে পঁচিশ মিনিটে একটি চকলেট কেক বানিয়েছে। তাকে তিনটি চকলেট কেক বানাতে কতক্ষণ সময় লাগবে?''
বেশিরভাগ মানুষ ২৫ গুণ ৩ করে সমাধানে পৌঁছাবে, কিন্তু যদি সব কেক একসাথে ওভেনে বসানো হয়, তাহলে দেখা যাবে তিনটি কেক বানাতেও একই সময় লাগবে যত সময় লাগে একটি কেক বানাতে। এই উদাহরণটি সমস্যাটি সঠিকভাবে ধারণা করার প্রয়োজনীয়তাকে তুলে ধরে এবং সমাধানে তাড়াহুড়ো না করে সমস্যাটি বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে দেখার প্রয়োজনীয়তাও নির্দেশ করে।
এটি আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যেতে, সমস্যাটি ধারণা করতে নিচের পাঁচটি ধাপ বিশ্লেষণ করুন:
'''পর্যায় ১ - সমস্যা সংজ্ঞায়িত করা'''
{| class="wikitable"
!লক্ষ্য (আমি চাই...)
!বাধা (কিন্তু...)
|-
|'''একটি নতুন গাড়ি কিনতে চাই।'''
!আমি জানি না কোন মডেলটি সবচেয়ে সাশ্রয়ী।
|-
|'''আরও ব্যায়াম করতে চাই।'''
!আমি জানি না কখন সময় পাব।
|-
|'''ভালো চাকরি পেতে চাই।'''
!আমি জানি না আমাকে কী ধরণের পুনঃপ্রশিক্ষণ নিতে হবে।
|}
'''পর্যায় ২ - সমাধানের জন্য আইডিয়া তৈরি'''
{| class="wikitable"
!সমস্যা
!তথ্য যাচাই
|-
|'''আমার একটি নতুন গাড়ি কেনা দরকার।'''
|'''এতে কত টাকা লাগবে?'''
'''আমি কি সত্যিই গাড়ি প্রয়োজন নাকি গণপরিবহন ব্যবহার করতে পারি?'''
'''নতুন গাড়ি ভালো নাকি পুরনো কেনা ভালো হবে?'''
|}
'''পর্যায় ৩ - একটি সমাধান নির্বাচন করুন'''
{| class="wikitable"
![[চিত্র:Stage_4.png|ফ্রেমহীন]]
|}
'''পর্যায় ৪ - সমাধান বাস্তবায়ন করুন'''
{| class="wikitable"
![[চিত্র:Step_3_-_Problem_Solving.png|ফ্রেমহীন]]
|}
'''পর্যায় ৫ - ফলাফল পর্যালোচনা করুন'''
{| class="wikitable"
!ফলাফল -
নতুন গাড়ি কেনার সিদ্ধান্ত কি সেরা ছিল?
নতুন গাড়ি কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো, টাকা জমিয়ে তা কেনা হলো, এবং একটি সাশ্রয়ী গাড়ি কেনা হলো।
নতুন গাড়ির দাম বেশি ছিল, কিন্তু এটি নির্ভরযোগ্য এবং দীর্ঘসময় পরিবহন হিসেবে কাজ করছে।
সুতরাং, এটি সেরা সমাধান ছিল।
|}
গবেষণাও এই কথাটিকে সমর্থন করে। পরবর্তী ধাপে যাওয়ার আগে সমস্যাটি স্পষ্টভাবে সংজ্ঞায়িত করা জরুরি। এই যুক্তির পক্ষে, গেটজেল এবং সিক্সজেন্টমিহালি দেখেছেন যে যারা চিত্রশিল্পী শিক্ষার্থী তাদের মধ্যে যারা তাদের শিল্পকর্ম তৈরির সময় বেশি সময় সমস্যা চিহ্নিতকরণে ব্যয় করে, তাদের কাজকে অন্যদের তুলনায় বেশি সৃজনশীল এবং মৌলিক হিসেবে মূল্যায়ন করা হয়েছে<ref name=":202" />। গবেষকরা ধারণা করেছেন, তারা এই প্রাথমিক ধাপে অধিক বিকল্প বিবেচনায় নিয়ে আরও মৌলিক ও গতিশীল সমাধানে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছেন।
এছাড়াও, অভিজ্ঞ শিক্ষক এবং নতুন প্রশিক্ষণরত শিক্ষার্থীদের মধ্যে তুলনা করলে দেখা যায় যে, অভিজ্ঞ শিক্ষকরা কল্পিত শ্রেণীকক্ষে পাঠ পরিকল্পনায় তুলনামূলকভাবে বেশি সময় ব্যয় করেন<ref name=":202" />। উপরন্তু, তারা উভয় ধরণের সমস্যায় (স্পষ্ট ও অস্পষ্টভাবে সংজ্ঞায়িত) উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি সমাধান প্রস্তাব করতে পেরেছেন। ফলে দেখা যায়, সফল সমস্যা সমাধানের সঙ্গে সঠিক সমস্যা নির্ধারণে সময় ব্যয় এবং বহুবিধ সমাধান বিবেচনার সম্পর্ক রয়েছে।
===== শিক্ষণগত প্রভাব =====
গবেষণালব্ধ তথ্য থেকে একটি শিক্ষণগত ধারণা নেওয়া যায় যে, সমস্যা ধারণায় ব্যয় করা সময় এবং সমাধানের মানের মধ্যে সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে, তাই শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের এই পর্যায়ে যতটা সম্ভব সময় ব্যয় করতে উৎসাহিত করা উচিত<ref name=":202" />। এই জ্ঞান প্রদান করে এবং শিক্ষার্থীদের সমস্যা সমাধানের প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করে নিশ্চিত করা যে তারা সমস্যা ধারণায় “থেমে থাকে”, আমরা কার্যকর সমস্যা সমাধানে সহায়তা করতে পারি<ref name=":202" />।
==== সমস্যার উপস্থাপন ====
''[[চিন্তন ও নির্দেশনা/সমস্যা সমাধান, সমালোচনামূলক চিন্তন ও যুক্তি#শব্দকোষ সমস্যার উপস্থাপন|সমস্যার উপস্থাপন]]'' বলতে কোনো নির্দিষ্ট সমস্যার সম্পর্কিত তথ্য কীভাবে সংগঠিত করা হয় তা বোঝানো হয়<ref name=":202" />। বিমূর্ত উপস্থাপনায় আমরা শুধুমাত্র চিন্তা করি বা কথায় বলি, কোনো দৃশ্যমান উপস্থাপন করি না<ref name=":202" />। সমস্যা উপস্থাপনকে দৃশ্যমান করতে গেলে কাগজ, কম্পিউটার ইত্যাদির মাধ্যমে গল্প, প্রতীক, ছবি, সমীকরণ বা গ্রাফের মাধ্যমে উপস্থাপন করতে হয়। এই দৃশ্যমান উপস্থাপনাগুলি<ref name=":202" /> কার্যকর হতে পারে। কারণ সেগুলি সমাধান এবং ধাপগুলি ট্র্যাক রাখতে সাহায্য করে। এটি জটিল সমস্যায় বিশেষভাবে উপকারী।
[[চিত্র:Bud_Monk_2.png|থাম্ব|ডাঙ্কারের বৌদ্ধ সন্ন্যাসী উদাহরণ।]]
উদাহরণস্বরূপ, যদি আমরা ডাঙ্কারের বৌদ্ধ সন্ন্যাসী উদাহরণটি দেখি<ref name=":202" />:
সকালে একজন বৌদ্ধ সন্ন্যাসী সূর্যোদয়ের সময় পাহাড়ে উঠে মন্দিরে যান। তিনি সূর্যাস্তের ঠিক আগে সেখানে পৌঁছান। কয়েকদিন পর, তিনি সূর্যোদয়ের সময় মন্দির থেকে নামা শুরু করেন এবং উপরের চেয়ে দ্রুত গতিতে নামেন। আপনি কি দেখাতে পারেন এমন একটি স্থান। এখানে তিনি উভয় যাত্রার সময় একই সময়ে পার হয়েছেন?<ref name=":202" />
শুধু বিমূর্ত উপস্থাপন ব্যবহার করলে এই সমস্যাটি সমাধান করা অসম্ভব মনে হয়। কারণ এতে অনেক তথ্য আছে, তা মৌখিকভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে এবং প্রশ্নে অপ্রাসঙ্গিক তথ্যও রয়েছে। দৃশ্যমান উপস্থাপন ব্যবহার করলে আমরা একটি মানসিক চিত্র তৈরি করতে পারি। এখানে দুইটি যাত্রাপথ ছেদ করে এবং সেখানে পৌঁছে একটি কার্যকর সমাধানে আসা সহজ হয়<ref>Bruning, G.J. Schraw & M.M. Norby (2011) Cognitive Psychology and Instruction (5th Ed). New York: Pearson.</ref>।
গবেষণাও দেখায়, কঠিন সমস্যার ক্ষেত্রে দৃশ্যমান উপস্থাপন উপকারী। মার্টিন এবং শোয়ার্জ<ref>Martin, L., and D. L. Schwartz. 2009. “Prospective Adaptation in the Use of External Representations.” Cognition and Instruction 27 (4): 370–400. doi:10.1080/</ref> দেখেছেন যে কঠিন কাজে এবং যখন মাঝে মাঝে সম্পদ ব্যবহার করা যায়, তখন বহিঃস্থ উপস্থাপন বেশি ব্যবহার করা হয়। যদিও এই উপস্থাপন তৈরি করতে সময় লাগে। এরা এগুলো তৈরি করেন তারা কার্যকরভাবে এবং নির্ভুলভাবে সমস্যার সমাধান করতে সক্ষম হন।
আরেকটি সুবিধা হলো এই দৃশ্য উপস্থাপন আমাদের জ্ঞাতাগত পক্ষপাত কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করে। চেম্বারস এবং রেইসবার্গ কর্তৃক পরিচালিত একটি গবেষণায়<ref>Chambers, D., and D. Reisberg. 1985. “Can Mental Images Be Ambiguous?” Journal of Experimental Psychology: Human A pragmatic perspective on visual representation and creative thinking Perception and Performance 11 (3): 317–328.</ref> অংশগ্রহণকারীদের একটি ছবি দেখে চোখ বন্ধ করে সেটির মানসিক চিত্র তৈরি করতে বলা হয়। পরে যখন তাদের সেই মানসিক চিত্র থেকে বিকল্প ব্যাখ্যা বের করতে বলা হয়, তখন কেউই তা করতে পারেনি। কিন্তু যখন ছবি দৃশ্যমানভাবে উপস্থাপন করা হয়, তখন তারা দ্রুত ছবি ঘুরিয়ে অন্য ব্যাখ্যায় পৌঁছাতে পেরেছে। এটি দেখায়, দৃশ্য উপস্থাপন শিক্ষার্থীদের মানসিক জড়তার বিরুদ্ধে কাজ করতে সাহায্য করতে পারে। এটি পরবর্তী অংশে আলোচনা করা হবে।
===== শিক্ষণগত প্রভাব =====
উপরে দেখা গেছে, বিমূর্ত উপস্থাপনায় নির্ভর করলে আমাদের মস্তিষ্কের সীমিত স্বল্প-মেয়াদি স্মৃতি অতিরিক্তভাবে চাপের মধ্যে পড়ে<ref name=":202" />। অনেক সমস্যা এই সীমা অতিক্রম করে যার ফলে আমরা আমাদের কাজের স্মৃতিতে প্রয়োজনীয় সব তথ্য রাখতে পারি না<ref name=":202" />। ফলে এটি ইঙ্গিত করে, শিক্ষকরা সমস্যাগুলো দৃশ্যমান বা লিখিতভাবে উপস্থাপন করলে জ্ঞাতাগত চাপ কমবে। সর্বশেষে, শিক্ষকদের উচিত শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন বহিঃস্থ উপস্থাপন যেমন চার্ট, গ্রাফ, ছবি ইত্যাদির মাধ্যমে তথ্য উপস্থাপনের উপায় দেখানো যাতে করে তারা কার্যকর সমাধান খুঁজে পেতে পারে।
=== সমস্যা সমাধানের চ্যালেঞ্জ ===
উপরে আলোচনা অনুযায়ী, সমস্যা সমাধানকে সহজতর করতে বিভিন্ন কৌশল রয়েছে, কিন্তু এমন কিছু বিষয়ও রয়েছে যা এই প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ: কারও পূর্বের অভিজ্ঞতা অনেক সময় নতুন সমাধান, পন্থা বা ধারণা ভাবতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারে<ref name=":26">Öllinger, M., Jones, G., & Knoblich, G. (2008). Investigating the effect of mental set on insight problem solving. Experimental Psychology, 55(4), 269-282. doi:10.1027/1618-3169.55.4.269</ref>।
==== মনোভাব ====
একটি মনোভাব বলতে বোঝায় কোনো কাজের প্রতি আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি যা অতীত অভিজ্ঞতার দ্বারা প্রভাবিত হয়ে গঠিত হয়।<ref name=":262" /> "Mental set" বলতে বোঝায় অতীতের সফল সমাধানগুলোকেই আমরা বারবার ব্যবহার করতে চাই, পরিবর্তে নতুন কোনো বিকল্প উপায় খুঁজে বের না করা। কিছু কিছু পরিস্থিতিতে এই ধরণের মানসিকতা কার্যকরী হতে পারে, যেমন পূর্বের সফল কৌশল ব্যবহার করে আমরা দ্রুত কোনো সমস্যার সমাধান খুঁজে পেতে পারি। তবে, এটি অনেক সম্ভাব্য এবং অধিক কার্যকর সমাধানকে বাদ দিয়ে দিতে পারে।
[[চিত্র:Candle_task.png|থাম্ব|মোমবাতির কাজ হলো একটি উদাহরণ যা দেখায় কীভাবে বন্ধ মানসিকতা "কার্যকরী স্থিরতা" সৃষ্টি করে।]]
==== কার্যকরী স্থিরতা ====
''[[চিন্তন ও নির্দেশনা/সমস্যা সমাধান, সমালোচনামূলক চিন্তন ও যুক্তি#শব্দকোষ Functional fixedness|কার্যকরী স্থিরতা]]'' হলো এক ধরনের মানসিক গঠন যেখানে আমরা কোনো বস্তুর প্রচলিত কাজেই সীমাবদ্ধ থাকি এবং তার নতুন সম্ভাব্য ব্যবহারগুলো উপেক্ষা করি।<ref name=":203" />
"কার্যকরী স্থিরতা"-এর একটি প্রথাগত উদাহরণ হলো "মোমবাতির সমস্যা"।<ref>Duncker, K. (1945). On Problem Solving. Psychological Monograph, Whole No. 270.</ref> ধরুন আপনি একটি টেবিলের সামনে বসে আছেন। এখানে একটি বাক্স ভর্তি ট্যাক, একটি মোমবাতি এবং কিছু ম্যাচ আছে। আপনাকে বলা হলো যত দ্রুত সম্ভব একটি জ্বলন্ত মোমবাতিকে কর্কবোর্ড দেওয়ালে এমনভাবে বসাতে হবে যাতে মোম টেবিলে গলে না পড়ে। কার্যকরী স্থিরতা-এর কারণে আপনি প্রথমে মনে করতে পারেন ট্যাক ব্যবহার করে মোমবাতিকে দেয়ালে পিন করে দেওয়াটাই সঠিক। কারণ সাধারণত ট্যাক এমন কাজেই ব্যবহৃত হয়—এই অভ্যস্ততাই এক্সপেরিমেন্টের অংশগ্রহণকারীদের প্রভাবিত করেছিল। কিন্তু এটি ভুল সমাধান কারণ এতে মোম টেবিলে গলে পড়বে।
সবচেয়ে কার্যকর সমাধান হলো ট্যাক ভর্তি বাক্সটিকে শুধু একটি ধারক হিসেবে না দেখে একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কল্পনা করা। যদি আমরা বাক্সটি খালি করি, তবে এটি মোমবাতির জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ব্যবহার করতে পারি এবং ট্যাকগুলো দিয়ে বাক্সটিকে দেয়ালে লাগাতে পারি। প্রথমে এই সমাধানটি ভাবা কঠিন। কারণ আমরা বাক্সটিকে সাধারণত ট্যাক রাখার পাত্র হিসেবেই ভাবি এবং এর অন্য কোনো ব্যবহার কল্পনা করতে পারি না (যেমন, এটি একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করতে পারে)। এই পরীক্ষাটি দেখায় কিভাবে পূর্ব জ্ঞান আমাদের চিন্তাকে সীমাবদ্ধ করতে পারে এবং সমস্যা সমাধানে বাধা সৃষ্টি করতে পারে।
===== কার্যকরী স্থিরতা কাটিয়ে ওঠার কৌশল =====
ম্যাকক্যাফ্রে (২০১২) এর প্রস্তাব অনুযায়ী,<ref name=":27">McCaffrey, T. (2012). Innovation relies on the obscure: A key to overcoming the classic problem of functional fixedness. Psychological Science, 23(3), 215-218.</ref> কার্যকরী স্থিরতা কাটিয়ে ওঠার একটি উপায় হলো বস্তুকে খণ্ড খণ্ড অংশে ভাগ করা। এভাবে আমরা দুটি মৌলিক প্রশ্ন করতে পারি: “এটি কি আরও ছোট অংশে ভাঙা যায়?” এবং “আমার বর্ণিত অংশের নাম কি কোনো ব্যবহার নির্দেশ করে?” এই বিষয়টি বোঝাতে ম্যাকক্যাফ্রে একটি "স্টিলের আংটি চিত্র-৮" উদাহরণ দিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে একজন ব্যক্তিকে দুটি স্টিল রিং, একটি মোমবাতি এবং একটি ম্যাচ দেওয়া হয়। তাকে বলা হয় এই দুটি রিংকে মিলিয়ে একটি ৮ আকৃতি তৈরি করতে।
ব্যক্তি যখন সরঞ্জামগুলোর দিকে তাকায় তখন সে ভাবতে পারে মোমবাতির মোম গলিয়ে স্টিল রিং দুটি জোড়া লাগানো যেতে পারে। কিন্তু মোম যথেষ্ট শক্ত নয়। তখন প্রশ্ন দেখা দেয়, কীভাবে রিং দুটি জোড়া লাগানো যায়।
এখানে মোমবাতির সলতা একটি টুল হিসেবে রয়ে যায়, কিন্তু যখন আমরা এটিকে আলো দেওয়ার উপায় হিসেবে ভাবি, তখন আমরা বিকল্প ব্যবহার ভাবতে পারি না। কিন্তু যদি আমরা সলতাকে শুধুই একটি মোমে মোড়ানো সুতা হিসেবে দেখি, তাহলে আমরা সঠিক সমাধানে পৌঁছাতে পারি। এই সুতা ব্যবহার করে দুটি রিংকে একসাথে বাঁধা যেতে পারে। ম্যাকক্যাফ্রে (২০১২) দেখিয়েছেন। এরা এই কৌশলে প্রশিক্ষিত ছিল তারা কন্ট্রোল গ্রুপের তুলনায় ৬৭% বেশি সমস্যার সমাধান করতে পেরেছিল।<ref name=":27" />
====== শিক্ষণতাত্ত্বিক প্রভাব ======
এই কৌশলটি কার্যকর প্রমাণিত হওয়ায়, এটি নির্দেশ করে বহুবিধ চিন্তাভাবনা শেখাতে শিক্ষার্থীদের শেখানো উচিত: “এই বস্তুটি আরও ছোট অংশে ভাগ করা যায় কি না”<ref name=":27" /> এবং “বর্ণিত অংশের নাম কোনো নির্দিষ্ট ব্যবহার নির্দেশ করে কি না”। এতে শিক্ষার্থীরা বস্তুগুলিকে তাদের মৌলিক রূপে বিশ্লেষণ করতে শিখবে এবং সমস্যার অস্পষ্ট বৈশিষ্ট্যগুলোকে স্পষ্ট করে তুলতে পারবে। এটি পূর্বে আলোচিত "ধারণাকরণ"-এর ধারণার সঙ্গে যুক্ত যেখানে সমস্যা সমাধানের দক্ষতা বাড়ানো যায় সমস্যাটি সঠিকভাবে সংজ্ঞায়িত করার ওপর জোর দিয়ে, আমাদের পূর্বধারণার ওপর ভিত্তি করে হঠাৎ সিদ্ধান্ত না নিয়ে। পরবর্তী অংশে আমরা আলোচনা করবো সমস্যা সমাধানে বিশেষজ্ঞরা কী কৌশল ব্যবহার করেন।
== সমস্যা সমাধানে নবীন বনাম বিশেষজ্ঞ ==
অনেক গবেষক মনে করেন, কার্যকর সমস্যা সমাধান দুটি গুরুত্বপূর্ণ ভেরিয়েবলের উপর নির্ভর করে: আমরা নির্দিষ্ট ধরণের সমস্যাগুলো সমাধানে কতটা অভিজ্ঞ তা<ref name=":28">Taconis, R., Ferguson-Hessler, M. G. M., & Broekkamp, H. (2002). Teaching science problem solving: An overview of experimental work. Journal of Research in Science Teaching, 38, 442–46</ref>। এটি আমরা পূর্বে আলোচনা করেছি যে, সমস্যা-ভিত্তিক পদ্ধতিতে অনুশীলনের মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের দক্ষতা বাড়ানো যায়। তবে দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হলো আমরা নির্দিষ্ট বিষয়ে কতটা জ্ঞান রাখি<ref name=":28" />। বিশেষজ্ঞদের সেই বিষয়ে বিপুল পরিমাণ জ্ঞান থাকে। এটি তাদের প্রাসঙ্গিক সমস্যার সমাধানে দ্রুত ও কার্যকরী সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করে। বিশেষজ্ঞরা নিজেদের জ্ঞানকে সংগঠিতভাবে সাজাতে পারেন। এটি তাদের তথ্য বোঝা, সাজানো ও ব্যাখ্যা করার প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করে এবং এর ফলে তারা নবীনদের তুলনায় ভালোভাবে স্মরণ, বিশ্লেষণ এবং সমাধান করতে সক্ষম হন।<ref>Bransford, J. D., Brown, A. L., & Cocking, R. R. (Eds.). (2000). How people learn: Brain, mind, experience, and school. Washington, DC: National Academies Press.</ref>
বিশেষজ্ঞ ও নবীনদের সমস্যা সমাধানের কৌশলের মধ্যে তুলনা করলে দেখা যায়, বিশেষজ্ঞরা সাধারণত তাদের জ্ঞানকে গভীর কাঠামো বা মৌলিক ধারণার চারপাশে সংগঠিত করেন, যেমন সমস্যাটি সমাধানে কী ধরণের কৌশল প্রয়োজন<ref name=":29">Novick, L. R., & Bassok, M. (2005). Problem solving. In K. Holyoak & R. Morrison (Eds.), The Cambridge handbook of thinking and reasoning (pp. 321–350). Cambridge, UK: Cambridge University Press.</ref>। এর বিপরীতে, নবীনরা সমস্যাগুলোকে বাহ্যিক কাঠামোর ভিত্তিতে শ্রেণিবদ্ধ করে, যেমন সমস্যায় থাকা বস্তুগুলো।<ref name=":29" />
বিশেষজ্ঞরা সমস্যা বিশ্লেষণ ও শনাক্ত করতে নবীনদের তুলনায় বেশি সময় ব্যয় করেন। তারা সমাধান বাস্তবায়নের আগে চিন্তা ও পরিকল্পনার জন্য বেশি সময় নেন এবং কিছু নির্দিষ্ট কৌশল ব্যবহার করেন যা তাদের আরও কার্যকর সমাধান দিতে সক্ষম করে।<ref>Fuchs, L. S., Fuchs, D., Stuebing, K., Fletcher, J. M., Hamlett, C. L., & Lambert, W. (2008). Problem solving and computational skills: Are they shared or distinct aspects of mathematical cognition? Journal of Educa- tional Psychology, 100, 30–</ref>
এছাড়াও, বিশেষজ্ঞরা নবীনদের তুলনায় সমস্যার গভীর এবং পূর্ণাঙ্গ উপস্থাপনায় নিয়োজিত থাকেন, যেমন বাহ্যিক উপস্থাপন পদ্ধতি—ডায়াগ্রাম বা স্কেচ—ব্যবহার করে তথ্য তুলে ধরা এবং সমস্যার সমাধান করা। এর ফলে তারা দ্রুত এবং আরও ভালো সমাধানে পৌঁছাতে পারেন।<ref name=":30">McNeill, K., & Krajcik, J. (2008). Scientific explanations: Characterizing and evaluating the effects of teachers’ instructional practices on student learning. Journal of Research in Science Teaching, 45, 53–78.</ref>
উপরের আলোচনার ভিত্তিতে বলা যায়, সমস্যা সমাধান ও দক্ষতা একে অপরের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। কারণ বিশেষজ্ঞরা যেসব কৌশল ব্যবহার করেন সেগুলো কার্যকর সমস্যা সমাধানের কৌশল হিসেবেও চিহ্নিত হয়েছে। তাই বলা যায়, বিশেষজ্ঞদের শুধু বিষয়ভিত্তিক জ্ঞানই বেশি নয়, তারা জানেন এবং প্রয়োগ করেন সবচেয়ে কার্যকর কৌশলগুলো যাতে করে তারা নবীনদের তুলনায় আরও দ্রুত এবং দক্ষতার সঙ্গে সমস্যার সমাধান করতে পারেন।<ref name=":30" /> পরবর্তী অংশে আমরা আলোচনা করবো সমস্যা সমাধান ও সমালোচনামূলক চিন্তার মধ্যকার সম্পর্ক।
== সমস্যা সমাধানে কগনিটিভ টিউটর ==
কগনিটিভ টিউটর বা জ্ঞানীয় শিক্ষক হলো এক ধরনের বুদ্ধিমান শিক্ষণ সহায়ক পদ্ধতি।<ref name=":332">Aleven, V. A. W. M. M., & Koedinger, K. R. (2002) An effective meta-cognitive strategy: learning by doing and explaining with a computer-based Cognitive Tutor. Cognitive Science, 26(2), 147–179.</ref> এটি শিক্ষার্থীদের আলাদা ভিত্তিতে বিভিন্ন ধরণের সমস্যা দিতে পারে, ব্যবহারকারীর সমাধান প্রক্রিয়া ট্র্যাক করতে পারে, প্রয়োজনীয় মুহূর্তে প্রতিক্রিয়া ও ইঙ্গিত দিতে পারে এবং দক্ষতা অর্জনের মানদণ্ড বাস্তবায়ন করতে পারে।<ref name=":342">Anderson, J. R., Corbett, A. T., Koedinger, K. R., & Pelletier, R. (1995). Cognitive Tutors: Lessons learned. Journal of the Learning Sciences, 4(2), 167.</ref>
অ্যান্ডারসন এবং তার সহকর্মীদের মতে,<ref name=":342" /> যারা LISP টিউটরের সাহায্যে কাজ করেছে তারা সমস্যাগুলো ৩০% দ্রুত সমাধান করেছে এবং ৪৩% ভালো ফল করেছে তাদের সহপাঠীদের তুলনায় যারা শুধু শিক্ষকের সহায়তায় মিনি কোর্স করেছিল। একইভাবে। এরা এসিটি প্রোগ্রামিং টিউটর (APT) ব্যবহার করেছে (এটি তাত্ক্ষণিক প্রতিক্রিয়া দেয়) তারা ঐ সমস্যার সেটগুলো দ্রুত শেষ করেছে এবং পরীক্ষায় ২৫% বেশি নম্বর পেয়েছে ঐসব শিক্ষার্থীদের তুলনায় যারা প্রচলিত উপায়ে ক্লাস করেছে।<ref name=":35">Corbett, A. T., & Anderson, J. R. (2001). Locus of feedback control in computer-based tutoring: Impact on learning rate, achievement and attitudes. In Proceedings of the SIGCHI Conference on Human Factors in Computing Systems (pp. 245–252). New York, NY, USA: ACM.</ref> এছাড়াও, উচ্চ বিদ্যালয়ের জ্যামিতি ক্লাসে যারা সমস্যা সমাধানের জন্য জ্যামিতি প্রমাণ টিউটর (GPT) ব্যবহার করেছে তারা পরবর্তীতে নেওয়া পরীক্ষায় ঐসব শিক্ষার্থীদের চেয়ে বেশি নম্বর পেয়েছে যারা প্রচলিত ক্লাসরুম কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেছিল।<ref name=":36">Koedinger, K. R., & Corbett, A. (2006). Cognitive tutors. The Cambridge handbook of the learning sciences, 61-77.</ref>
=== কগনিটিভ টিউটরের একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ ===
১৯৮৫ সালে, অ্যান্ডারসন, বয়েল এবং রেইগসার বুদ্ধিমান টিউটরিং সিস্টেমে কগনিটিভ সাইকোলজির শাখাটি যুক্ত করেন। সেই সময় থেকে, বুদ্ধিমান টিউটরিং সিস্টেম এই পদ্ধতিকে গ্রহণ করে শিক্ষার্থীদের জ্ঞান অর্জনের জন্য কগনিটিভ মডেল নির্মাণ করে। এর নাম দেওয়া হয় কগনিটিভ টিউটর।<ref name=":343" /> সবচেয়ে বহুল ব্যবহৃত কগনিটিভ টিউটর হলো কগনিটিভ_টিউটর® Algebra I।<ref name=":362" /> কার্নেগি লার্নিং, ইনকর্পোরেটেড। এর মালিকানাধীন ট্রেডমার্ক এটি, তারা পূর্ণাঙ্গ কগনিটিভ_টিউটর® বিকাশ করছে। এর মধ্যে রয়েছে বীজগণিত I, II, বীজগণিতের সেতু, জ্যামিতি, এবং সমন্বিত গণিত I, II, III। কগনিটিভ_টিউটর® এখন স্প্যানিশ মডিউলও অন্তর্ভুক্ত করেছে।
কগনিটিভ টিউটর শেখার প্রক্রিয়াকে “কাজ করে শেখা”-এর ধারণাকে সমর্থন করে। এটি মানবিক টিউটরিংয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যভিত্তিক দক্ষতা বা ধারণা প্রয়োগের সুযোগ ও বিষয়বস্তুভিত্তিক প্রতিক্রিয়া প্রদান করে।<ref name=":362" /> শিক্ষার্থীদের পারফরম্যান্স পর্যবেক্ষণের জন্য, কগনিটিভ টিউটর দুটি ''[[চিন্তন ও নির্দেশনা/সমস্যা সমাধান, সমালোচনামূলক চিন্তন ও যুক্তি#শব্দকোষ Algorithms|অ্যালগরিদম]]'' ব্যবহার করে — মডেল ট্রেসিং ও নলেজ ট্রেসিং। মডেল ট্রেসিং তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া প্রদান করে এবং শিক্ষার্থীর প্রতিটি ধাপে নির্দিষ্ট বিষয়বস্তুভিত্তিক পরামর্শ দেয়।<ref name=":343" /> নলেজ ট্রেসিং ব্যবহারকারীর পূর্বজ্ঞান অনুসারে প্রতিটি ব্যবহারকারীর জন্য উপযুক্ত কাজ নির্বাচন করে যাতে তারা মাস্টারি লার্নিং অর্জন করতে পারে।<ref name=":343" /><ref name=":362" />
কগনিটিভ টিউটর বিভিন্ন পাঠ্যক্রম বা বিষয়ে তৈরি এবং প্রয়োগ করা যায় শিক্ষার্থীদের শেখায় সহায়তা করার জন্য, এবং ক্লাসরুম লার্নিং-এ অভিযোজিত সফটওয়্যার হিসেবে সংযুক্ত করা যায়। এই পাঠ্যক্রম ও বিষয়গুলির মধ্যে রয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের গণিত,<ref name=":333" /> <ref name=":352" /> <ref>Koedinger, K. R. (2002). Toward evidence for instructional design principles: Examples from Cognitive Tutor Math 6. In Proceedings of PME-NA XXXIII (The North American Chapter of the International Group for the Psychology of Mathematics Education).</ref> উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জেনেটিকস,<ref>Corbett, A., Kauffman, L., Maclaren, B., Wagner, A., & J,.ones, E. (2010). A Cognitive Tutor for genetics problem solving: Learning gains and student modeling. Journal of Educational Computing Research, 42(2), 219–239.</ref> এবং প্রোগ্রামিং।<ref name=":343" /><ref name=":352" /><ref>Corbett, A. T., & Anderson, J. R. (2008). Knowledge decomposition and sub-goal reification in the ACT programming tutor. Department of Psychology, 81.</ref><ref>Corbett, A. T., & Bhatnagar, A. (1997). Student modelling in the ACT programming tutor: Adjusting a procedural learning model with declarative knowledge. In User modelling (pp. 243-254). Springer Vienna.</ref>
কগনিটিভ টিউটর শ্রেণীকক্ষ, শিক্ষার্থীদের উৎসাহ এবং অর্জনে বিশাল প্রভাব ফেলেছে।<ref>Corbett, A. (2002). Cognitive tutor algebra I: Adaptive student modelling in widespread classroom use. In Technology and assessment: Thinking ahead. proceedings from a workshop (pp. 50-62).</ref> কগনিটিভ টিউটরের কার্যকারিতা সম্পর্কে গবেষণার প্রমাণগুলো ইঙ্গিত করে, এটি শ্রেণীকক্ষ শিক্ষার তুলনায় অধিক কার্যকর।<ref name=":343" /><ref>Koedinger, K. R. & Anderson, J. R. (1993). Effective use of intelligent software in high school math classrooms. In Proceedings of the World Conference on Artificial Intelligence in Education, (pp. 241-248). Charlottesv</ref><ref>Koedinger, K., Anderson, J., Hadley, W., & Mark, M. (1997). Intelligent tutoring goes to school in the big city. Human-Computer Interaction Institute.</ref><ref name=":352" />
=== কগনিটিভ টিউটরের তাত্ত্বিক পটভূমি ===
==== [http://en.wikibooks.org/wiki/Cognition_and_Instruction/Long-Term_Memory#The_ACT-R_Theory ACT-R তত্ত্ব] ====
কগনিটিভ টিউটরের তাত্ত্বিক পটভূমি হলো ACT-R তত্ত্ব অফ লার্নিং অ্যান্ড পারফরম্যান্স। এটি প্রক্রিয়াগত জ্ঞান এবং ঘোষণামূলক জ্ঞানের মধ্যে পার্থক্য করে।<ref name=":343" /> ACT-R তত্ত্ব অনুযায়ী, প্রক্রিয়াগত জ্ঞান সরাসরি মানুষের মাথায় ঢোকানো যায় না, এবং এটি if-then ''[[চিন্তন ও নির্দেশনা/সমস্যা সমাধান, সমালোচনামূলক চিন্তন ও যুক্তি#শব্দকোষ গুণন|গুণন]]'' বিধির মাধ্যমে উপস্থাপন করা যায়। প্রক্রিয়াগত জ্ঞান অর্জনের একমাত্র উপায় হলো কাজ করে শেখা।
==== [http://en.wikibooks.org/wiki/Cognition_and_Instruction/Long-Term_Memory#Production_Rule_Models_of_Memory প্রোডাকশন রুলস] ====
প্রোডাকশন রুলস দেখায় কিভাবে শিক্ষার্থীরা, তারা নতুন হোক বা অগ্রসর, একটি নির্দিষ্ট বিষয় বা ক্ষেত্রে চিন্তা করে।<ref name=":343" /> প্রোডাকশন রুলস শিক্ষার্থীদের অনানুষ্ঠানিক বা স্বতঃসিদ্ধ চিন্তাভাবনাকে উপস্থাপন করতে পারে।<ref>Koedinger, K. R., & Corbett, A. (2006). Cognitive tutors. The Cambridge handbook of the learning sciences, 61-77.</ref> এই অনানুষ্ঠানিক বা স্বতঃসিদ্ধ চিন্তাভাবনা সাধারণত পাঠ্যপুস্তকে শেখানো ধারণার চেয়ে ভিন্ন হয়, এবং শিক্ষার্থীরা স্কুলের বাইরেও এমন চিন্তার ধরন অর্জন করতে পারে।<ref>Resnick, L. B. (1987). Learning in school and out. Educational Researcher, 16(9), 13-20.</ref> সমস্যার সমাধানে নির্দিষ্ট অপারেশনের পরিবর্তে একটি পরিকল্পনা প্রদান করা যেমন হিউরিস্টিক পদ্ধতি;<ref>Polya, G. (1957). How to Solve It: A New Aspect of Mathematical Method. (2nd ed.). Princeton, NJ: Princeton University Press.</ref> এবং বিকল্প কৌশল যেমন প্রতীক ছাড়াও গ্রাফিক্স ব্যবহার করে সমীকরণ সমাধান করাও<ref name=":362" /> প্রোডাকশন রুলের মাধ্যমে উপস্থাপন করা যায়।
==== কগনিটিভ মডেল এবং মডেল ট্রেসিং ====
কগনিটিভ মডেল ACT-R তত্ত্ব এবং শিক্ষার্থীদের উপর পরিচালিত গবেষণার উপর ভিত্তি করে গঠিত।<ref name=":362" /> শিক্ষার্থীদের সব সমাধান এবং সাধারণ ভ্রান্ত ধারণাগুলো কগনিটিভ মডেলের প্রোডাকশন সিস্টেমে উপস্থাপিত হয়।
{| border="1" style="background-color:Whitesmoke" cellpadding="10px" cellspacing="8px" align="center"
|একটি বীজগণিতীয় সমীকরণ সমাধানের তিনটি কৌশল
|-
|<blockquote>'''সমীকরণ''': 2(3+X)=10</blockquote><blockquote>'''কৌশল ১''': 2x3+2xX=10</blockquote><blockquote>'''কৌশল ২''': 2(3+X)÷2=10÷2</blockquote><blockquote>'''কৌশল ৩''': 2x3+X=10</blockquote>
|}
উদাহরণস্বরূপ, 2(3+X)=10 এই বীজগণিতীয় সমীকরণ সমাধানের তিনটি কৌশল রয়েছে। কৌশল ১ হলো ২ দ্বারা (3+X) গুণ করা; কৌশল ২ হলো উভয় পাশে ২ দ্বারা ভাগ করা; কৌশল ৩ হলো ২ দ্বারা শুধু ৩ গুণ করে X কে গুণ না করে ভুল ধারণা প্রদর্শন করা। যেহেতু প্রতিটি কাজের একাধিক পদ্ধতি থাকতে পারে, শিক্ষার্থীরা তাদের সুবিধামত সমাধান পদ্ধতি বেছে নিতে পারে।
মডেল ট্রেসিং একটি অ্যালগরিদম যা শিক্ষার্থীদের শেখার প্রতিটি ধাপ অনুসরণ করতে পারে এবং তাত্ক্ষণিক, প্রসঙ্গভিত্তিক প্রতিক্রিয়া প্রদান করে। যদি শিক্ষার্থী সঠিক উত্তর বেছে নেয়, যেমন কৌশল ১ বা কৌশল ২ ব্যবহার করে সমাধান করে, কগনিটিভ_টিউটর® এটি গ্রহণ করে এবং শিক্ষার্থীকে পরবর্তী কাজ দেয়। যদি শিক্ষার্থীর ভুলটি একটি সাধারণ ভ্রান্ত ধারণার সঙ্গে মিলে যায়, যেমন কৌশল ৩, কগনিটিভ_টিউটর® এটিকে ভুল হিসেবে চিহ্নিত করে এবং তাৎক্ষণিকভাবে পরামর্শ দেয়, যেমন: "X-কে ২ দ্বারা গুণ করাও প্রয়োজন।" যদি শিক্ষার্থীর ভুল কোনো প্রোডাকশন রুলের সঙ্গে না মেলে, অর্থাৎ উপরোক্ত কোনো কৌশল ব্যবহার না করে, তাহলে কগনিটিভ_টিউটর® এই ধাপটিকে লাল রঙ ও ইটালিকে একটি ভুল হিসেবে চিহ্নিত করে। সমস্যার সমাধান করার সময় শিক্ষার্থীরা যে কোনো সময়ে সাহায্য বা ইঙ্গিত চাইতে পারে। করবেটের মতে,<ref name=":352" /> তিনটি স্তরের পরামর্শ রয়েছে: প্রথমত, একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য অর্জনের পরামর্শ; দ্বিতীয়ত, সেই লক্ষ্য অর্জনের জন্য সাধারণ ধারণা প্রদান; এবং তৃতীয়ত, বর্তমান প্রসঙ্গে সমস্যার সমাধান সম্পর্কে বিস্তারিত পরামর্শ।
==== নলেজ ট্রেসিং ====
নলেজ ট্রেসিং সমস্যার সমাধান প্রক্রিয়ায় শিক্ষার্থীদের ক্রমবর্ধমান প্রোডাকশন রুলস পর্যবেক্ষণ করতে পারে। প্রতিটি শিক্ষার্থী সমস্যার প্রতিটি ধাপে একটি প্রোডাকশন রুল নির্বাচন করতে পারে, এবং কগনিটিভ টিউটর শিক্ষার্থী ঐ নির্দিষ্ট রুল শিখেছে কিনা, তার সম্ভাব্যতা আপডেট করে হিসাব করতে পারে।<ref name=":352" /><ref name=":362" /> এই সম্ভাব্যতা অনুমানসমূহ সফটওয়্যারের ইন্টারফেসে স্কিল-মিটার-এ দেখানো হয়। এই অনুমান ব্যবহার করে কগনিটিভ টিউটর শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত চাহিদার ভিত্তিতে উপযুক্ত কাজ বা সমস্যা নির্বাচন করতে পারে।
=== কার্যকারিতা ===
==== কগনিটিভ টিউটর® জ্যামিতি ====
অ্যালেভেন এবং কোয়েডিঙ্গার দুটি পরীক্ষা পরিচালনা করেছিলেন যাতে দেখা যায় কগনিটিভ টিউটর® কি উচ্চ বিদ্যালয়ের জ্যামিতি ক্লাসে আত্ম-ব্যাখ্যাকে কার্যকরভাবে সহায়তা করতে পারে কিনা।<ref name=":334" /> গবেষণার ফলাফল ইঙ্গিত দেয় যে “কগনিটিভ টিউটর® ব্যবহারে সমস্যা-সমাধানের অনুশীলন তখনই আরও কার্যকর হয় যখন শিক্ষার্থীরা তাদের পদক্ষেপগুলোর ব্যাখ্যা সমস্যা-সমাধানের নীতিগুলোর মাধ্যমে দেয়।”<ref name=":33 page"><Aleven, V. A. W. M. M., & Koedinger, K. R. (2002). An effective metacognitive strategy: learning by doing and explaining with a computer-based Cognitive Tutor. Cognitive Science, 26(2), 147–179. p. 173</ref>
জ্যামিতি শেখার ক্ষেত্রে এটি তখন ঘটে যখন শিক্ষার্থীদের পূর্বজ্ঞানভিত্তিক উৎপাদন নিয়মগুলো অতিরঞ্জিত হয়। এর ফলে তারা তথ্যকে ভাসাভাসাভাবে গ্রহণ করে এবং শেখে। উদাহরণস্বরূপ, একটি শিক্ষার্থী সঠিক উত্তর বেছে নিয়ে পরবর্তী ধাপে চলে যেতে পারে এমন একটি অতিরঞ্জিত নিয়ম অনুসরণ করে—''যদি একটি কোণ অন্য একটি কোণের মতো দেখায়, তবে সেটি সমান''—প্রকৃত বোঝাপড়া ছাড়াই। অ্যালেভেন এবং কোয়েডিঙ্গার অনুযায়ী, আত্ম-ব্যাখ্যার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা আরও সাধারণ রূপে নিয়মগুলোর ব্যাখ্যা করতে শেখে এবং এটি তাদের আরও গভীরভাবে চিন্তা করতে এবং জ্যামিতি বিষয়ক নিয়মগুলোর ওপর স্পষ্টভাবে প্রতিফলন করতে উৎসাহিত করে।<ref name=":334" />
গবেষণার অন্তর্ভুক্ত সকল জ্যামিতির ক্লাসে ছিল শ্রেণিকক্ষ আলোচনা, ক্ষুদ্র-দলীয় কার্যক্রম, বক্তৃতা এবং কগনিটিভ টিউটর® ব্যবহারে সমস্যা সমাধান। উভয় পরীক্ষায়, শিক্ষার্থীদের কগনিটিভ টিউটর® এর সাহায্যে সমস্যা সমাধান করতে হয়েছে। তবে কগনিটিভ টিউটর®-এর দুটি আলাদা সংস্করণ ব্যবহার করা হয়েছে—নতুন সংস্করণটি আত্ম-ব্যাখ্যাকে সহায়তা করতে পারে, যেটি "কাজ এবং ব্যাখ্যার মাধ্যমে শিক্ষণ পরিচালিত করা" নামেও পরিচিত,<ref name=":334" /> আর অন্যটি পারে না। নতুন সংস্করণে এমন অতিরিক্ত বৈশিষ্ট্য ছিল যা শিক্ষার্থীদের প্রতিটি ধাপকে যুক্তিযুক্ত করতে জ্যামিতির নীতিমালা প্রবেশ করানো অথবা অনলাইন গ্লসারির সঙ্গে সেগুলোর সংযোগ করানো বাধ্যতামূলক করেছিল, একইসঙ্গে শিক্ষার্থীরা তাদের পছন্দ অনুযায়ী ব্যাখ্যা এবং সমাধান দিতে পারত। নতুন সংস্করণের ব্যাখ্যার ধরনটি কথ্য ব্যাখ্যার চেয়ে আলাদা ছিল। এটি আত্ম-ব্যাখ্যাবিষয়ক আরেকটি পরীক্ষায় উল্লেখ করা হয়েছে। গবেষকরা দেখতে পান। এরা নতুন সংস্করণ ব্যবহার করেছে তারা শুধু যে আরও নিখুঁতভাবে ব্যাখ্যা দিতে পেরেছে তা-ই নয়, বরং তারা জ্যামিতি বিষয়ে আরও গভীরভাবে নিয়মগুলো বুঝতে পেরেছে। ফলে, তারা সেই শেখা নিয়মগুলো নতুন পরিস্থিতিতেও প্রয়োগ করতে পেরেছে এবং ভাসাভাসা শেখা এড়াতে সক্ষম হয়েছে।
==== জেনেটিক্স কগনিটিভ টিউটর ====
করবেট ও সহকর্মীরা (২০১০) জেনেটিক্স কগনিটিভ টিউটর-এর দুটি মূল্যায়ন পরিচালনা করেন আমেরিকার ১২টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৭ ধরণের জীববিজ্ঞান কোর্সে। গবেষণায় দেখা গেছে, পোস্ট-সেকেন্ডারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জেনেটিক্স সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে জেনেটিক্স কগনিটিভ টিউটর ব্যবহার কার্যকর ছিল।<ref>Corbett, A., Kauffman, L., Maclaren, B., Wagner, A., & Jones, E. (2010). A Cognitive Tutor for genetics problem solving: Learning gains and student modelling. Journal of Educational Computing Research, 42(2), 219–239.</ref>
প্রথম মূল্যায়নে, অংশগ্রহণকারীরা ক্লাস কার্যক্রম অথবা হোমওয়ার্ক হিসেবে জেনেটিক্স কগনিটিভ টিউটর ব্যবহার করে। সফটওয়্যারটিতে ১৬টি মডিউল রয়েছে এবং এতে প্রায় ১২৫টি সমস্যা পাঁচটি সাধারণ জেনেটিক বিষয়ের উপর ভিত্তি করে। জেনেটিক্স কগনিটিভ টিউটর জেনেটিক্স সমস্যা সমাধানের জন্য ধাপে ধাপে সহায়তা দেয় এবং এতে উভয় মডেল ট্রেসিং এবং নলেজ ট্রেসিং ব্যবহার করা হয়। প্রাক-পरीক্ষণের গড় সঠিকতার হার ছিল ৪৩% এবং পরবর্তী পরীক্ষায় তা বেড়ে হয় ৬১%, অর্থাৎ গড় উন্নতি ছিল ১৮%। দ্বিতীয় মূল্যায়নে গবেষকরা খতিয়ে দেখেন, জ্ঞান ট্রেসিং অ্যালগরিদম শিক্ষার্থীদের জ্ঞানের সঠিক পূর্বাভাস দিতে পারে কিনা। ফলাফল অনুযায়ী, অ্যালগরিদমটি কাগজ-কলমভিত্তিক পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের পারফরম্যান্স যথাযথভাবে পূর্বানুমান করতে সক্ষম।
== প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা এবং নকশা চিন্তন ==
=== বাস্তব জীবনের সমস্যার সমাধানে তাত্ত্বিক চিন্তা ===
''[[চিন্তন ও নির্দেশনা/সমস্যা সমাধান, সমালোচনামূলক চিন্তন ও যুক্তি#শব্দকোষ Project Project Based Learning|প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা]]'' একটি ধারণা যা শিক্ষার্থীকে শিক্ষার কেন্দ্রে স্থাপন করার উদ্দেশ্যে তৈরি। এই শিক্ষায় শিক্ষার্থীকে একটি জটিল চ্যালেঞ্জ বা প্রশ্নের উত্তরে দীর্ঘ সময় ধরে অনুসন্ধানমূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করতে উৎসাহিত করা হয়। প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষার উদ্দেশ্য হল শিক্ষার্থী যেন পাঠ্যক্রম অনুসরণ করার পাশাপাশি তাদের বিদ্যমান জ্ঞান ব্যবহার করে সমস্যার সমাধান খুঁজে বের করতে পারে। মূলত, এটি এমন একটি কার্যকলাপ যেখানে শিক্ষার্থীরা বাস্তব জীবনের সমস্যা বা ইস্যুর উপর ভিত্তি করে একটি বিষয় সম্পর্কে ধারণা তৈরি করে এবং তাদের শিক্ষাক্রমের নকশা করায় এক ধরনের দায়িত্ব পালন করে<ref>Morgan, Alistar. (1983). Theoretical Aspects of Project-Based Learning in Higher Education. British Journal of Educational Technology, 14(1), 66-78.</ref>। ব্লুমেনফেল্ড প্রমুখ (১৯৯১) উল্লেখ করেছেন যে প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা শিক্ষার্থীকে তাদের মূল প্রশ্ন, কার্যকলাপ এবং তৈরি করা শিল্পকর্মের প্রক্রিয়ার প্রতি দায়িত্ববান করে তোলে<ref name=":48">Blumenfeld, Phyllis C., Elliot Soloway, Ronald W. MArx, Joseph S. Krajick, Mark Guzdial, Annemarie Palincsar.. (1991). Motivating Project-Based Learning: Sustaining the Doing, Supporting the Learning. Educational Psychologist, 26(3&4), 369-398.</ref>।
প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা পাঁচটি নির্দিষ্ট মানদণ্ডের উপর ভিত্তি করে তৈরি<ref name=":37">Thomas, John W. (2000). A Review of Research on Project-Based Learning. San Rafael: Autodesk Press.</ref>:
{| border="1"
|+'''প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষার বৈশিষ্ট্য'''
|প্রকল্পগুলো পাঠ্যক্রমের কেন্দ্রবিন্দু বা প্রান্তবর্তী যে কোন অংশে হতে পারে।
|-
|প্রকল্পগুলো এমন প্রশ্ন বা সমস্যার উপর ভিত্তি করে তৈরি যা শিক্ষার্থীদের একটি নির্দিষ্ট বিষয়ের মূল ধারণা ও নীতির মুখোমুখি করে এবং সেখানে সংগ্রাম করতে বাধ্য করে।
|-
|প্রকল্পগুলো শিক্ষার্থীদের গঠনমূলক অনুসন্ধানে সম্পৃক্ত করে।
|-
|প্রকল্পগুলো কিছুটা হলেও শিক্ষার্থী পরিচালিত হয়।
|-
|প্রকল্পগুলো বাস্তবধর্মী হয়, শুধু বিদ্যালয়ভিত্তিক নয়।
|}
[[চিত্র:Problem_Based_Learning_vs_Project_Based_Learning.png|থাম্ব|প্রকৃত এবং কার্যকর সমাধান উপস্থাপনে শিক্ষার্থীদের চ্যালেঞ্জ জানায় প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা।]]
এই ধরনের চ্যালেঞ্জগুলি বাস্তব জীবনের প্রাসঙ্গিক সমস্যা নিয়ে গঠিত। এটি শিক্ষার্থীদের অনুসন্ধান প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সম্পৃক্ত করে এবং সক্রিয় বা অভিজ্ঞতালব্ধ শিক্ষার মাধ্যমে তাদের ধারণা প্রকাশে সক্ষম করে। উদাহরণস্বরূপ, প্রাথমিক বা মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের শিক্ষকের পক্ষ থেকে স্কুলে কম্পোস্ট সমস্যা সমাধানের জন্য বলা হতে পারে। শিক্ষার্থীদের দলবদ্ধভাবে গবেষণা, নির্মাণ এবং তাদের আইডিয়া প্রদর্শনের নির্দিষ্ট মানদণ্ডের মধ্যে থেকে সমাধান বের করতে উৎসাহিত করা হবে। এখানে তারা দীর্ঘ সময় ধরে বিষয়বস্তুর সাথে মানসিকভাবে যুক্ত থাকবে এবং আগ্রহ ধরে রাখবে<ref name=":48" />। ফলাফল হবে একটি জটিল শিক্ষা প্রক্রিয়া যার সফলতা কেবল অংশগুলোর যোগফল নয় বরং সামগ্রিকতায় নিহিত<ref name=":38">van Merriënboer, J. J. G., Clark, R. E., & de Croock, M. B. M. (2002). Blueprints for complex learning: The 4C/ID-model. Educational Technology Research and Development, 50(2), 39–61. doi:10.1007/bf02504993.</ref>। প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষার লক্ষ্য হলো জ্ঞান, সহযোগিতা এবং একটি চূড়ান্ত প্রকল্প উপস্থাপনের দক্ষতা সমন্বয় করা। এই ধরণের স্কিমা নির্মাণ শিক্ষার্থীদের বাস্তব প্রশিক্ষণ ব্যবহার করে কার্যকর ফলাফল তৈরিতে সাহায্য করে। শিক্ষার্থী পূর্ববর্তী জ্ঞান ব্যবহার করে নতুন তথ্যের সাথে সংযুক্ত হয় এবং একটি বিষয় সম্পর্কে তার ধারণাকে সম্প্রসারিত করে<ref name=":38" />। প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষায় এই প্রক্রিয়াটি তথ্য সংগ্রহ, দলগত আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং সমাধান তৈরি করার মাধ্যমে সম্পন্ন হয়।
সমস্যা ভিত্তিক শিক্ষার চেয়ে প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষায় নির্মাণবাদী শিক্ষার দর্শনের ভিত্তিতে অভিজ্ঞতালব্ধ শেখাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়। এখানে শিক্ষার্থীরা একটি নির্দিষ্ট চালিকাশক্তি প্রশ্নের উত্তরে বাস্তব সমাধানের দিকে অগ্রসর হয়ে তাদের জ্ঞানের পরিমাণ প্রকাশ করে। অভিজ্ঞতালব্ধ শিক্ষার এই দার্শনিক ভিত্তি এসেছে জন ডিউই এর “এডুকেশন অ্যান্ড এক্সপেরিয়েন্স” (শিক্ষা ও অভিজ্ঞতা) নামক গ্রন্থ থেকে। ডিউই মনে করতেন যে অভিজ্ঞতা একটি ধারাবাহিক শেখার প্রক্রিয়া। এটি কৌতূহল জাগায়, উদ্যোগ বৃদ্ধি করে এবং শিক্ষার্থীকে আরও জ্ঞানের দিকে এগিয়ে নিয়ে যায়<ref name=":39">Dewey, J. (1938). Experience and education. New York: Macmillan.</ref>। প্রকৃত সমস্যার সমাধানে কাজ করার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সমাধানকে বাস্তব কাঠামোর সঙ্গে যুক্ত করে এই অভিজ্ঞতালব্ধ শিক্ষা। শিক্ষার্থীদের অবশ্যই তাদের জ্ঞানের অভাব পূরণ করতে হয় গবেষণা ও দলগত সহযোগিতার মাধ্যমে। প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষায় অভিজ্ঞতা নির্ভর শেখা একটি চালিকাশক্তি প্রশ্নের উপর কেন্দ্রীভূত থাকে। এটি সাধারণত শিক্ষক কর্তৃক নির্ধারিত। শিক্ষার্থীরা এই প্রশ্নের উত্তর দিতে একটি নকশা করা শিল্পকর্ম তৈরি করে অর্জিত জ্ঞান উপস্থাপন করে।
প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষার নির্মাণবাদী পদ্ধতি শিক্ষক কর্তৃক পরিচালিত গাইডেড ডিসকভারি পদ্ধতির মাধ্যমে পরিচালিত হয়। এখানে বিশুদ্ধ স্বাধীন অনুসন্ধান। এটি অনেক সময় শিক্ষার্থীদের খুব বেশি স্বাধীনতা দেওয়ার জন্য সমালোচিত। এক্ষেত্রে এটি এড়িয়ে নির্দিষ্ট একটি প্রশ্নের মাধ্যমে শিক্ষার পথ নির্ধারণ করা হয়<ref name=":40">van Merrienboer, J. J. G., Paul A. Kirschner, & Liesbeth Kester. (2004). Taking the Load off a Learner’s Mind: Instructional Design for Complex Learning. Amsterdam: Open University of the Netherlands.</ref>। এই ধরনের নির্মাণবাদী শিক্ষাপদ্ধতি শিক্ষার্থীদের চিন্তন প্রক্রিয়া উন্নত করতে কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে<ref name=":40" />। প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা শিক্ষার্থীদের শেখানো প্রশ্নের উত্তর নিজেরা বের করতে উৎসাহিত করে এবং সেই সঙ্গে অনুসন্ধান, বিশ্লেষণ এবং উপস্থাপনার জন্য একটি কাঠামো প্রদান করে। ফলে, প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা নির্বাচন, সংগঠন এবং জ্ঞান একীভূত করার মাধ্যমে তাৎপর্যপূর্ণ ও মানসিকভাবে উপকারী শেখার সুযোগ তৈরি করে<ref name=":40" />।
=== অভিজ্ঞতা হল শেখার ভিত্তি ===
প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা শিক্ষার একটি শাখা যা কাজের মাধ্যমে শেখাকে গুরুত্ব দেয়। জন ডিউই উল্লেখ করেছেন যে শিক্ষক ও বিদ্যালয়গুলোকে অভিজ্ঞতা ও নির্মাণবাদী পদ্ধতির মাধ্যমে তত্ত্ব ও বাস্তব জীবনের মধ্যে সম্পর্ক গভীর করতে শিক্ষার্থীদের সাহায্য করা উচিত। ডিউই বলেছেন, শিক্ষার মধ্যে অভিজ্ঞতার ধারাবাহিকতা ও শিক্ষা গণতন্ত্রায়নের একটি ধারা থাকা উচিত যাতে মানব অভিজ্ঞতার মান উন্নত হয়<ref name=":39" />। এই দুটি উপাদান প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এখানে বাস্তব সমস্যা নিরসনে সমাধান উপস্থাপন এবং দলগত সহযোগিতার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের নিজস্ব সমাধান খোঁজার সুযোগ থাকে। ব্লুমেনফেল্ড প্রমুখ উল্লেখ করেছেন যে প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষার মূল্য নিহিত শিক্ষার্থীদের সাথে সম্পর্কিত প্রশ্নে — যেমন ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য, সমাজের সমস্যা, বা চলমান ঘটনাবলীতে<ref name=":48" />।
প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষার ভিত্তি জঁ পিয়াজের চিন্তায়ও রয়েছে, যিনি মনে করতেন যে শিক্ষার্থীরা পূর্ববর্তী জ্ঞানকে ভিত্তি করে নতুন কিছু শিখে এবং সেই সাথে নতুন সংযোগ তৈরি করে সর্বোত্তমভাবে শিখে। শিক্ষার্থীর বুদ্ধিমত্তা গঠিত হয় তার পরিবেশের উপাদানগুলো আত্মস্থ করে, এবং বিভিন্ন নতুন স্কিমাকে গ্রহণ করে পূর্ব ধারণাকে পরিবর্তন করে<ref>Piaget, Jean; Cook, Margaret (Trans). The construction of reality in the child. New York, NY, US: Basic Books The construction of reality in the child. (1954). xiii 386 pp. http://dx.doi.org/10.1037/11168-000.</ref>। পিয়াজে মনে করতেন, শিক্ষার্থী নিজেরা জ্ঞান আবিষ্কার করতে পারবে, তবে সহযোগিতা ছাড়া তাদের সমাধান সুসংগঠিত হবে না<ref name=":40" />। প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা পিয়াজের এই সম্মিলিত যোগাযোগ ও দলগত শিখনের গুরুত্বকে স্বীকৃতি দেয়।
=== আত্ম-প্রণোদনা শিক্ষার্থীর শেখাকে এগিয়ে নেয় ===
প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা শিক্ষার্থীদের বিভিন্নভাবে উপকার করে যেমন জ্ঞান অর্জন, যোগাযোগ এবং সৃজনশীলতা বৃদ্ধির মাধ্যমে। একটি নির্দিষ্ট চ্যালেঞ্জে যুক্ত হয়ে শিক্ষার্থীরা গভীরভাবে বিষয়বস্তু অনুধাবন করে। এছাড়া, সহযোগিতামূলক শিক্ষার কারণে যোগাযোগ, নেতৃত্ব এবং সামাজিক দক্ষতা বাড়ে। শিক্ষার্থীরা বিষয়বস্তু দীর্ঘ সময় ধরে মনে রাখতে পারে এবং কী শিখছে তা ভালোভাবে বোঝে। প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষাকে সমর্থন করার জন্য কমপক্ষে চারটি জ্ঞানতাত্ত্বিক ক্ষেত্র আছে<ref name=":37" /> – প্রণোদনা, দক্ষতা, প্রাসঙ্গিকতা, এবং প্রযুক্তি।
[[চিত্র:Ashs-impact_projects.ogv|থাম্ব|শিক্ষার্থীরা তাদের প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষার মডেল নিয়ে প্রেরণার কথা বলছে]]
শিক্ষার্থী যদি কোনো বিষয়ের শিখন ও পারদর্শিতার উপর ভিত্তি করে প্রণোদিত হয়, তাহলে তারা দীর্ঘস্থায়ীভাবে তাদের কাজের সাথে যুক্ত থাকে<ref>Ames, C. (1992). Classrooms: goals, structures, and student motivation. Journal of Educational Psychology, 84, 261-271.</ref>। তাই, প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা প্রতিযোগিতার পরিবর্তে সহযোগিতামূলক লক্ষ্য নির্ধারণ করে। এটিতে ব্যক্তিগত শিক্ষার্থীরা হুমকির সম্মুখীন না হয় এবং শেখায় মনোনিবেশ করতে পারে<ref name=":37" />। প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা শিক্ষার্থীদের এমনভাবে পরিকল্পনা করে যাতে তারা একসাথে লক্ষ্য অর্জন করতে পারে, ভয় বা সমালোচনার ভীতি ছাড়াই। উদাহরণস্বরূপ, হেল্লে প্রমুখ একটি গবেষণায় তথ্য ব্যবস্থা নকশা বিষয়ে শিক্ষার্থীদের সাত মাসব্যাপী একটি প্রকল্পে কাজ করতে দেন। শিক্ষার্থীদের একটি প্রশ্নপত্রের মাধ্যমে তাদের প্রেরণার মাত্রা পরিমাপ করা হয়। গবেষণায় দেখা যায় প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে অন্তর্নিহিত প্রেরণা ০.৫২ স্ট্যান্ডার্ড ডেভিয়েশন বৃদ্ধি পেয়েছে। এটি ইঙ্গিত দেয় প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষার্থীরা আত্মপ্রণোদনার মাধ্যমে কাজ সম্পন্ন করে। বিশেষভাবে। এটিদের আত্মনিয়ন্ত্রণ কম ছিল তাদের মধ্যে প্রেরণা আরও বেশি বেড়েছে<ref>Helle, Laura, Paivi Tynjara, Erkki Olkinora, Kristi Lonka. (2007). “Aint nothin’ like the real thing”. Motivation and study processes on a work-based project course in information systems design. ''British Journal of Educational Psychology,'' 70(2), 397-411.</ref>।
অনেক শিক্ষার্থীর মাঝে মেটাকগনিশন ও আত্মনিয়ন্ত্রণের অভাব রয়েছে, অথচ শিক্ষার্থীদের বিকাশে এই দক্ষতাগুলোর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে<ref name=":37" />। প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষায় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর সম্পর্কের মাধ্যমে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের উচ্চতর অনুসন্ধান পদ্ধতির মডেল হিসেবে ব্যবহার করে স্ক্যাফোল্ডিং প্রয়োগ করতে পারেন, ফলে মধ্যম ও উচ্চতর শ্রেণির শিক্ষার্থীরা অর্থপূর্ণ শিক্ষা ও পরিপক্ব ফলাফল দিতে সক্ষম হয়<ref name=":49">Joseph Krajcik , Phyllis C. Blumenfeld , Ronald W. Marx , Kristin M. Bass , Jennifer Fredricks & Elliot Soloway (1998) Inquiry in Project-Based Science Classrooms: Initial Attempts by Middle School Students, Journal of the Learning Sciences, 7:3-4, 313-350, DOI: 10.1080/10508406.1998.9672057</ref>। শিক্ষার্থীরা ধীরে ধীরে নিজেদের তৈরি করা দক্ষতার উপর বিশেষজ্ঞে পরিণত হয়।
প্রাসঙ্গিকভাবে, বাস্তব পরিস্থিতির সঙ্গে যত বেশি সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়, ততই পরিবেষ্টিত জ্ঞান কার্যকর হয়<ref name=":372" />। সেই দৃষ্টিকোণ থেকে প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা শিক্ষার্থীদের আত্মবিশ্বাস বাড়ায় যাতে তারা বিদ্যালয়ের বাইরেও অনুরূপ কাজ সফলভাবে করতে পারে। কারণ তারা বিষয়বস্তুকে জ্ঞানের কৃত্রিম সীমানা হিসেবে আর দেখে না। গর্জেস এবং গোকে (২০১৫) একটি অনলাইন জরিপের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের প্রধান প্রধান বিষয়গুলোর দক্ষতার আত্ম-উপলব্ধি এবং বাস্তব জীবনে তা প্রয়োগ করার সম্পর্কটি অনুসন্ধান করেন। শিক্ষার্থীরা সমস্যা সমাধানের দক্ষতা এবং তা বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করার বিষয়ে আত্মবিশ্বাস দেখিয়েছে, যেমন গর্জেস এবং গোকে<ref name=":41">Gorges, Julia, Thomas Goke. (2015). How do I Know what I can do? Anticipating expectancy of success regarding novel academic tasks. ''British Journal of Educational Psyschology,'' 85(1), 75-90.</ref> উল্লেখ করেন। যারা প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা অনুসরণ করেছে, তাদের আত্ম-দক্ষতা এবং গণিত (এসডি .৭৭), ইতিহাস (এসডি .৭২) ইত্যাদি বিষয়গুলোতে দক্ষতা সম্পর্কে আত্ম-ধারণা বৃদ্ধি পেয়েছে<ref name=":41" />। তাই শিক্ষার্থীরা শিক্ষাবহির্ভূত পরিবেশেও বিষয়ভিত্তিক জ্ঞান প্রয়োগে বেশি আত্মবিশ্বাসী হয়। এছাড়া, কোর্স শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এবং ১২ সপ্তাহ থেকে ২ বছরের মধ্যে শিক্ষার্থীদের তুলনায় প্রাপ্ত ফলাফল থেকে বোঝা যায়, প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা জ্ঞান ধরে রাখতে অনেক বেশি সহায়ক<ref name=":41" />।
প্রযুক্তির ব্যবহার শিক্ষার্থীদের একটি বেশি বাস্তব অভিজ্ঞতা দেয়। কারণ এতে ডেটা, ব্যাপক ইন্টারঅ্যাকশন এবং সহযোগিতা থাকে, এবং বাস্তব দুনিয়ায় ব্যবহৃত সামগ্রীর অনুকরণ করে<ref name=":372" />। প্রযুক্তির মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা থেকে আরও বেশি উপকার পায়। কারণ এতে জ্ঞান অনুসন্ধানে স্বায়ত্তশাসন এবং দলের সদস্যদের সঙ্গে সংযোগ তৈরি হয়। শিক্ষার্থীরা সৃজনশীল হয়। কারণ তাদের প্রকৃত সমস্যার জন্য নতুন নতুন সমাধান বের করতে হয়। উদাহরণস্বরূপ, হাং ও হোয়াং-এর মতে<ref>Hung, C.-M., Hwang, G.-J., & Huang, I. (2012). A Project-based Digital Storytelling Approach for Improving Students' Learning Motivation, Problem-Solving Competence and Learning Achievement. ''Educational Technology & Society'', 15 (4), 368–379. </ref>, প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা-এর আওতায় ডিজিটাল স্টোরিটেলিং ব্যবহার করে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গ্লোবাল ওয়ার্মিং বিষয়ে একটি নির্দিষ্ট প্রশ্নের উত্তর খোঁজার জন্য ছবি সংগ্রহ করার কাজ পরীক্ষার ফলাফলে তাৎপর্যপূর্ণ উন্নতি ঘটায় (এসডি ০.৬৪)। শিক্ষার্থীদের জ্ঞান খুঁজে বের করতে সাধারণত বিভিন্ন বিষয়ে পেরিয়ে যেতে হয়, ফলে তারা বহুমাত্রিক জ্ঞান ব্যবহার করে সমস্যার সমাধান তৈরি করে।
=== প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা বাস্তবায়নে শিক্ষকদের প্রাপ্ত চ্যালেঞ্জ ===
এই ধরনের শিক্ষণ পদ্ধতির বিরুদ্ধে প্রধান অভিযোগ হলো, প্রকল্পটি অগোছালো হয়ে যেতে পারে এবং সমস্যা সমাধানের জন্য যথাযথ শ্রেণিকক্ষ সময় নাও থাকতে পারে। অনেক শিক্ষকের মধ্যে প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা উপেক্ষিত হয় কারণ তারা এটি প্রয়োগ করার জন্য প্রশিক্ষণ বা প্রাসঙ্গিক জ্ঞান পায় না। প্রযুক্তির মাধ্যমে কার্যকর মূল্যায়নের জন্য অতিরিক্ত ব্যয় শিক্ষকদের নিরুৎসাহিত করে<ref name=":42">Efstratia, Douladeli. (2014). Experiential education through project based learning. ''Procedia – Social and Behavioral Sciences''. 152, 1256-1260.</ref>। সমালোচকদের মতে, এই তথ্যগুলো বক্তৃতাভিত্তিক পদ্ধতিতেও প্রদান করা যায় এবং ফলাফল ততটাই কার্যকর হতে পারে। এছাড়া, শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষে সময় নষ্ট করতে পারে এবং যদি তারা ক্রমাগত প্রকল্প ও শিক্ষার প্রতি মনোযোগ না দেয়, তবে প্রকল্পটি সফল হবে না। প্রচলিত পদ্ধতিতে শিক্ষা প্রদানকারী শিক্ষকরা প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা-কে চ্যালেঞ্জিং মনে করেন। কারণ এতে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংযোগ রক্ষা এবং সময় ব্যবস্থাপনা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে—যা সকল শিক্ষকের জন্য সহজ নয়<ref name=":42" />। ব্লুমেনফেল্ড প্রমুখ (১৯৯৮) বলেন প্রকৃত সফলতা তখনই আসে, যখন প্রকল্পটি একটি সংগঠিত কাঠামোর মধ্যে হয়। এখানে শিক্ষক মডেলিং, উদাহরণ, কৌশল, নির্দেশিকা প্রদান, কার্যক্রম চলাকালীন প্রতিক্রিয়া এবং কাজ সংশোধনের সুযোগ দেন<ref name=":492" />।
=== শিক্ষার্থীদের সমালোচনামূলক চিন্তনের মাধ্যমে খাঁটি ফলাফলের প্রয়োজন ===
[[চিত্র:Framework_for_21st_Century_Learning.jpg|থাম্ব|একবিংশ শতাব্দীর শিক্ষার কাঠামো]]
প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা বিভিন্ন বিষয়ে প্রযোজ্য, বিশেষ করে একবিংশ শতকের শিক্ষার পুনঃসংজ্ঞায়ন (বিভিন্ন স্তরের, প্রযুক্তিনির্ভর, সহযোগিতামূলক, আন্তঃবিষয়ক) প্রেক্ষাপটে। STEM - Science, Technology, Engineering, Mathematics (বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল, গণিত) একবিংশ শতকের এমন একটি শিক্ষা ক্ষেত্র যেখানে প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা প্রাকৃতিকভাবে বিভিন্ন বিষয়ের মধ্যে সেতুবন্ধন গঠন করে। STEM-এর মূল উদ্দেশ্য হলো মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার চ্যালেঞ্জ এবং প্রকৃত জীবনের দলভিত্তিক জটিল সমস্যা সমাধানে প্রস্তুত করা। স্বাস্থ্য, প্রকৌশল, কম্পিউটার নকশা এবং শিক্ষা সহ অনেক পেশাগত ক্ষেত্র প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা থেকে উপকৃত হতে পারে।
প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জ্ঞান সম্প্রসারণ এবং জটিল পরিস্থিতিতে সফলতা অর্জনের সুযোগ দেয়<ref name=":43">Capraro, R. M., Capraro, M. M., & Morgan, J. (2013). STEM Project-Based Learning: An Integrated Science, Technology, Engineering, and Mathematics (STEM) Approach (2nd Edition). New York, NY: Sense. </ref>। এ ছাড়াও, শিক্ষার্থীরা নিজের শক্তি ও দুর্বলতা সম্পর্কে গভীর উপলব্ধি গড়ে তোলে<ref name=":43" />। ফলাফল হিসেবে একজন শিক্ষার্থী গড়ে ওঠে যে চিন্তাশীল, বিশ্লেষণধর্মী এবং বাস্তব পরিস্থিতিতে তা প্রয়োগে সক্ষম। শিক্ষার্থীর তৈরি চূড়ান্ত পণ্য একটি বাস্তবিক ফলাফল প্রদান করে। এটি দায়িত্বশীলতা এবং প্রকল্পের নির্দেশনা ও সীমাবদ্ধতাকে মান্য করে<ref name=":43" />।
শিক্ষার্থীরা নির্দিষ্ট ফলাফলের দিকে মনোযোগ দেয়, কাজের গণ্ডি বোঝে এবং একটি কার্যকর উপস্থাপনযোগ্য সামগ্রী তৈরি করে। এর মাধ্যমে তারা উচ্চ-প্রযুক্তি, দ্রুতগামী কর্মপরিবেশে কাজ করতে প্রস্তুত হয় যেখানে উদ্ভাবন, সহযোগিতা এবং ফলাফলভিত্তিক কার্যসম্পাদন অপরিহার্য।
প্রযুক্তি এমন একটি ক্ষেত্র যেখানে প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা বাস্তব প্রয়োগে দক্ষতা গড়ে তোলে, ফলে নতুন প্রযুক্তির দ্বারা প্রদত্ত জ্ঞানীয় সরঞ্জামগুলো প্রকল্পে অপরিহার্য হলে তা কার্যকর প্রমাণিত হয়<ref name=":482" />। উদাহরণস্বরূপ, যেসব কম্পিউটার নকশাকাররা পূর্বে থেকে কিছু জ্ঞান রাখেন তারা হয়তো অপারেটিং সিস্টেম ট্রাবলশুট করতে পারেন, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে বিষয়বস্তু কিভাবে একত্রে কাজ করে তা বোঝেন না এবং তাদের দক্ষতা সম্পর্কে ভুল ধারণা থাকে<ref>Gary, Kevin. (2013), Project-Based Learning. ''Computer.'' (Vol 48:9). Tempe: Arizona State. </ref>।
== প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষার একটি উপশ্রেণী হিসেবে নকশা-থিংকিং ==
=== বাস্তব জীবনের সমস্যার সমাধানে ব্যবহারিক নকশার প্রক্রিয়া ব্যবহার ===
[[চিত্র:Design_thinking.png|থাম্ব|নকশা চিন্তনে শিক্ষার্থীকে একটি নির্দিষ্ট কাঠামোগত প্রক্রিয়ার মধ্যে কাজ করে একটি নকশা চ্যালেঞ্জ সমাধান করতে হয়]]
''[[চিন্তন ও নির্দেশনা/সমস্যা সমাধান, সমালোচনামূলক চিন্তন ও যুক্তি#শব্দকোষ Design Thinking|নকশা চিন্তন]]'' হলো একটি শিক্ষাদান পদ্ধতি। এটি প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষার একটি শাখা হিসেবে চ্যালেঞ্জভিত্তিক সমস্যা সমাধানের কন্সট্রাকশনিস্ট পদ্ধতিতে শেখানোর উপর ভিত্তি করে তৈরি। এটি এমন একটি শাখার সমন্বয় হিসেবে বোঝা উচিত, যেগুলোর জ্ঞানচর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে নকশা<ref name=":44">Cross, N. (2007). ''Designerly ways of knowing''. Basel, Switzerland: Birkha¨user.</ref>।
নকশা চিন্তনের একটি উদাহরণ হতে পারে, যখন শিক্ষার্থীরা বাস্তব জীবনের কোনো সমস্যার সমাধান খুঁজছে। তবে প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষার চেয়ে এটি একটু ভিন্ন; নকশা চিন্তন শিক্ষার্থীদেরকে একটি নির্দিষ্ট কাঠামোগত প্রক্রিয়ার মধ্যে থেকেই একটি ব্যবহারিক সমাধান তৈরি করতে বলে (চিত্র ৩), যেমন—একটি গ্রামে নিরাপদ পানীয় পানি পৌঁছে দেওয়ার উপায় খুঁজে বের করা। নকশাকাররা সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক দিকগুলো বিবেচনা করবে, তবে তারা এমন একটি কার্যকর প্রোটোটাইপ তৈরি করবে যা বাজারে আনা সম্ভব। ফলে একটি পানির সরবরাহ ব্যবস্থা তৈরি করা যেতে পারে। এটি স্থানীয় উপকরণ, অর্থায়ন এবং নীতিমালার সীমার মধ্যে থেকে কাজ করবে।
এই পদ্ধতিতে সহানুভূতি, সমস্যা সংজ্ঞায়ন, ধারণা তৈরি, প্রোটোটাইপ এবং পরীক্ষা — এই মূলনীতি অনুসরণ করে নকশাের চ্যালেঞ্জ পূরণ করা হয়। এখানে একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য (সমাধান) নিয়ে শুরু করে, নকশার মাধ্যমে সৃজনশীল এবং ব্যবহারিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের ওপর জোর দিয়ে ভবিষ্যতের উন্নত ফলাফল অর্জনের চেষ্টা করা হয়। এটি এমন এক ধরণের চিন্তা প্রক্রিয়া। এখানে সমস্যার সূক্ষ্ম দিকগুলো বিশ্লেষণ করে গোপন উপাদানগুলো খুঁজে বের করা হয় একটি কার্যকর সমাধানের জন্য। অর্জিত লক্ষ্য তখন পরবর্তী লক্ষ্য নির্ধারণ ও সমস্যা সমাধানের জন্য প্রাথমিক ভিত্তি হিসেবে কাজ করে<ref name=":44" />।
[[চিত্র:DesignThinking.ogv|থাম্ব|নকশা চিন্তন - ''শিশুদের ব্যায়ামে উৎসাহ দিতে একটি মুভমেন্ট সেন্সর ডিভাইস নকশা'' করার উদাহরণ]]
এই ধরণের শিক্ষাগত পদ্ধতির ভিত্তি হলো, আধুনিক বিশ্ব আসলে কৃত্রিম গঠনে পূর্ণ, এবং আমাদের সভ্যতা ঐতিহাসিকভাবে এই ধরনের কৃত্রিম জিনিসের ওপর নির্ভর করে প্রযুক্তিগত অগ্রগতি অর্জন করেছে। নকশা চিন্তনের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা হারবার্ট সাইমন বলেন, আজকের শিক্ষার্থীদের ঘেরা বিশ্ব প্রাকৃতিক জগতের চেয়ে অনেক বেশি কৃত্রিম<ref>Simon, H. A. (1996). ''The sciences of the artificial''. Cambridge, MA: MIT Press.</ref>। নকশা চিন্তনের চ্যালেঞ্জ হলো শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল চিন্তাভাবনার ক্ষমতা বাড়িয়ে উদ্ভাবনী দক্ষতা গড়ে তোলা<ref>Aflatoony, Leila & Ron Wakkary, (2015). ''Thoughtful Thinkers: Secondary Schooler’s Learning about Design Thinking.'' Simon Fraser University: Surrey, BC.</ref>।
নকশা চিন্তন একটি টুল হিসেবে ব্যবহৃত হয় প্রচলিত শিক্ষামূলক প্রকল্পগুলোকে প্রকল্প ভিত্তিক চিন্তার কাঠামোয় রূপান্তর করতে। ভ্যান মেরিয়েনবোয়ার (২০০৪) পুরো কাজ অনুশীলনের জন্য নকশা শেখাকে একটি কাঠামো হিসেবে দেখেছেন। এটি শিক্ষার্থীদের জন্য অন্তর্নিহিত জ্ঞানীয় চাপ কমায় এবং তারা সহজ উদাহরণের মাধ্যমে অনুশীলন করতে পারে<ref name=":402" />। এজন্যই নকশা চিন্তন বর্তমানে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। কারণ এটি শিক্ষার্থীর জানা ও শেখার মধ্যে সেতুবন্ধন গড়ে তোলে যা একবিংশ শতাব্দীর দক্ষতা অর্জনের প্রেক্ষাপটে গুরুত্বপূর্ণ। এই প্রক্রিয়ার একটি আরেকটি উদাহরণ হলো এমন একটি পণ্য নকশা করা। এটি শিশুদের শারীরিক কার্যকলাপ বাড়াতে সহায়তা করবে (উপরে উল্লিখিত ভিডিওটি দেখুন)। নিচে নকশা চিন্তনের কাঠামো ব্যবহার করে তা ব্যাখ্যা করা হয়েছে:
{| border="1"
|+'<nowiki/>'''''নকশা চিন্তনের উদাহরণ - শিশুদের ব্যায়ামে উৎসাহ দিতে একটি মুভমেন্ট সেন্সর ডিভাইস তৈরি''''''
!নকশা ধাপ
!ফলাফল
|-
|[[চিত্র:Empathy_-_Design_Thinking.png|কেন্দ্র|ফ্রেমহীন|113x113পিক্সেল]]
|'''মানুষদের থেকে শেখা''' - "কিভাবে একটি মুভমেন্ট সেন্সর ডিভাইস ব্যবহারে আগ্রহ সৃষ্টি করা যায়?" যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে শিশুদের তাদের পছন্দ, অভ্যাস, বিরক্তির কারণ জানাতে বলা হয়। গড়পড়তা শিশুদের পাশাপাশি অতিমাত্রায় সক্রিয় এবং অতি নির্জীব শিশুদেরও সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়। এই চরমপন্থী শিশুরা সাধারণ শিশুদের চাহিদা আরও ভালোভাবে ব্যাখ্যা করতে সক্ষম।
|-
|[[চিত্র:Define_-_Design_Thinking.png|কেন্দ্র|ফ্রেমহীন|111x111পিক্সেল]]
|'''ধরন খোঁজা''' - সাক্ষাৎকারের ফলাফল পোস্ট-ইট নোটে লিখে সংগঠিত করা হয়। এমন ধরন খোঁজা হয় যা সুযোগ তৈরি করে। কেউ কেউ বলেছে তারা খেলাধুলার সময় সামাজিক হতে চায়, আবার কেউ বলেছে তারা ব্যায়ামের সময় অন্যদের সাথে কথা বলতে পছন্দ করে।
|-
|[[চিত্র:Ideate_-_Design_Thinking.png|কেন্দ্র|ফ্রেমহীন|111x111পিক্সেল]]
|'''নকশা নীতিমালা''' - গবেষণার মাধ্যমে কিছু নির্দিষ্ট নকশা নীতিমালা তৈরি করা হয়েছে, যেমন—"সব সময় সামাজিক মিথস্ক্রিয়া সহজ করা", "প্রথমেই পুরস্কার বৃদ্ধি করে অংশগ্রহণ বাড়ানো", "শুধু শিশু নয়, পারিবারিকভাবে সক্রিয় হওয়ার প্রেরণা দেওয়া", "বাড়িতে থাকা শিশুদের প্রতি বিশেষ নজর দেওয়া"। এই নীতিমালাগুলো প্রোটোটাইপ নকশাের দিকনির্দেশনা হিসেবে কাজ করে।
|-
|[[চিত্র:Prototype_-_Design_Thinking.png|কেন্দ্র|ফ্রেমহীন|111x111পিক্সেল]]
|'''বাস্তব রূপ দেওয়া''' - এই নীতিমালাগুলো কিভাবে একটি ব্যবহারযোগ্য পণ্যে রূপান্তর করা যায়? এই নীতিমালার ভিত্তিতে প্রোটোটাইপ তৈরি করা হয়।
|-
|[[চিত্র:Test_-_Design_Thinking.png|কেন্দ্র|ফ্রেমহীন|111x111পিক্সেল]]
|'''পুনরাবৃত্তি করা''' - কাগজ-কলমে ইলেকট্রনিক ডিভাইসের ইন্টারফেসের মকআপ তৈরি করা হয় এবং শক্ত কাগজ ও টেপ ব্যবহার করে যন্ত্র তৈরি করা হয়। শিশুদের জন্য ডিজিটাল ও বাস্তব মডেল তৈরি করে তা পরীক্ষা ও মতামত নেওয়া হয়। চূড়ান্ত ফলাফল হয় একটি পরিশোধিত মডেল। এটি এই প্রতিক্রিয়ার ভিত্তিতে তৈরি।
|}
=== কৃত্রিম জগতে নকশা নিয়ে সমালোচনামূলক চিন্তা ===
নকশা চিন্তনের ইতিহাস নির্দিষ্ট কিছু পণ্ডিতের মাধ্যমে চিহ্নিত করা যায়, যেমন হারবার্ট সাইমন, ডোনাল্ড শন এবং নাইজেল ক্রস। সাইমন ১৯৬৯ সালে শিক্ষার জগতে পেশাগত ফাঁক নিয়ে তার গবেষণা প্রকাশ করেন। তিনি লক্ষ্য করেন, প্রাকৃতিক বিজ্ঞানের মতো, কৃত্রিম জগতে জটিল বিষয়গুলোর সরলতা উদঘাটন করাও বিজ্ঞানীদের মতোই প্রয়োজন<ref name=":45">Koh, Joyce Hwee Ling, Chin Sing Chai, Benjamin Wong, & Huang-Yao Hong. (2015) ''Design Thinking for Education.'' Singapore: Springer Science + Business Media.</ref>। এর মধ্যে শুধু বিজ্ঞান নয়, কলা ও মানববিদ্যার প্রক্রিয়াও অন্তর্ভুক্ত হওয়া উচিত। কারণ সঙ্গীতের মধ্যেও গণিতের মতো কাঠামোগত প্যাটার্ন আছে (সাইমন, ১৩৬)। তাই সবার সৃজনশীল নকশা একটি সাধারণ ভাষা ও তার প্রয়োগের ওপর ভিত্তি করে।
ডোনাল্ড শন, যিনি এমআইটি-তে আরবান প্ল্যানিং ও শিক্ষার ফোর্ড অধ্যাপক ছিলেন, নকশা চিন্তন-কে একটি শিল্প এবং অন্তর্জ্ঞানভিত্তিক সমস্যা সমাধানের প্রক্রিয়া হিসেবে বর্ণনা করেন<ref name=":46">Schon, D. A. (1983). ''The reflective practitioner: How professionals think in action'' (Vol. 5126). New York, NY: Basic Books.</ref>। শন উপলব্ধি করেন, নকশা প্রক্রিয়ার একটি অংশ হলো সেই “ক্রিয়ার মধ্যে প্রতিফলন” যা সমালোচনামূলক চিন্তা ও ধারণা তৈরির সময় আবশ্যক। সমস্যা সমাধানের সমাধান কেবল পাঠ্যবইয়ে থাকে না; বরং নকশাকারদের নিজস্ব প্রেক্ষাপট অনুধাবনের ক্ষমতার মধ্যেই তা নিহিত থাকে<ref name=":45" />।
ক্রস এই পূর্ববর্তী ধারণাগুলোকে শিক্ষার প্যাডাগজিতে রূপান্তর করেন এবং বলেন নকশা চিন্তন বিজ্ঞানের পাশাপাশি মানববিদ্যায়ও সাধারণ শিক্ষার অংশ হওয়া উচিত<ref name=":44" />। তিনি মনে করেন, শিক্ষার্থীরা যদি এই চিন্তার পদ্ধতি ব্যবহার করে উৎসাহিত হয়, তবে তাদের নন-ভার্বাল চিন্তা ও যোগাযোগ দক্ষতা উন্নত হবে<ref name=":44" />।
=== বিঘ্ন ঘটানো অর্জন হিসেবে সমালোচনামূলক চিন্তা ===
নকশা চিন্তন একটি নির্দিষ্ট প্রবাহ অনুসরণ করে — তাত্ত্বিক থেকে ব্যবহারিক দিকে। এটি কার্যকর শিক্ষার্থী সমাধান উদ্ভাবনের জন্য নির্দেশিত শিক্ষার ওপর নির্ভর করে এবং শুধু অনুসন্ধানের ওপর নয়। কারণ কেবল অনুসন্ধান দীর্ঘমেয়াদী স্মৃতির সীমা অতিক্রম করতে পারে না বলে মনে করা হয়<ref name=":44" />। নকশা চিন্তন শিক্ষার্থীকে তাদের প্রক্রিয়া সম্পর্কে মেটা-অ্যানালাইসিস করতে বাধ্য করে। সৃজনশীলতা (উদ্ভাবনী চিন্তা) নকশা চিন্তনে স্পষ্ট হয়, যখন এটি স্মৃতি উদ্দীপনায় মনোযোগ বিভাজন এবং মনোযোগ কেন্দ্রীকরণের মাধ্যমে উদ্ভাসিত হয়<ref name=":44" />। হু প্রমুখ (২০১০) একটি গবেষণায় চার বছরের একটি নির্দিষ্ট পাঠদান পদ্ধতিতে প্রাথমিক শিক্ষার্থীদেরকে যৌক্তিক চিন্তার মাধ্যমে নকশা প্রকল্পের জন্য ‘ডিসরাপটেড থিংকিং’ প্রয়োগ করতে শেখান। ফলাফল থেকে দেখা যায় যে তাদের চিন্তার ক্ষমতা (এসডি .78) বৃদ্ধি পায় এবং এটি দীর্ঘমেয়াদে শিক্ষাগত সাফল্য বৃদ্ধি করে<ref>Hu, Weiping, Philip Adey, Xiaojuan Jia, Jia Liu, Lei Zhang, Jing Li, Xiaomei Dong. (2010). Effects of a “Learn to Think” Intervention programme on primary school students. ''British Journal of Educational Psychology''. 81(4) 537-557.</ref>। এটি সৃজনশীল প্রক্রিয়ায় বিচ্ছিন্ন ও সমন্বিত চিন্তার ব্যবহার প্রমাণ করে। এটি দীর্ঘমেয়াদি স্মৃতির সঙ্গে সম্পর্কিত উচ্চ পর্যায়ের চিন্তার ইঙ্গিত দেয়। নকশা চিন্তন স্পষ্টভাবে শিক্ষার্থীদের এই ক্ষমতা অর্জনে সহায়তা করে।
=== নকশাকাররা কি বৈজ্ঞানিক নন? ===
নকশা চিন্তনের সমালোচকরা বলেন, নকশা নিজেই কোনো বিজ্ঞান নয় কিংবা কোনো জ্ঞানীয় শেখার পদ্ধতি নয়; এটি অন্তর্জ্ঞানভিত্তিক হওয়ায় অবৈজ্ঞানিক কাজ হিসেবে বিবেচিত। শিক্ষার্থীরা এখানে প্রকৃত জ্ঞানীয় অনুশীলনের (যেমন—বৈজ্ঞানিক যুক্তি প্রয়োগ) মধ্যে থাকে না। তবে ক্রস-এর বিশ্বাস হলো নকশা নিজেই একটি বিজ্ঞান। এটি নিয়মিত ও নির্ভরযোগ্য পদ্ধতিতে অধ্যয়ন করা যায়<ref name=":44" />। এছাড়াও শন বলেন, নকশা চিন্তনে তত্ত্ব ও অনুশীলনের মধ্যে সংযোগ রয়েছে। এর ফলে একটি তাত্ত্বিক ধারণা বাস্তব প্রোটোটাইপে রূপান্তরিত হয়<ref name=":46" />। নকশা চিন্তন হলো একটি বৈজ্ঞানিক জ্ঞানীয় অনুশীলন। এর মধ্যে রয়েছে প্রতিফলনমূলক অনুশীলন ও মেটা-চিন্তা। এই পদ্ধতি সেই প্রাকৃতিক ব্যবধান পূরণ করে। এটি তত্ত্ব ও বাস্তবতার মধ্যে দেখা যায়, এবং শিক্ষার্থীকে প্রচলিত পাঠ্যবইয়ের সীমা অতিক্রম করে নতুন কিছু করার সুযোগ দেয়। নকশা চিন্তন ক্লায়েন্ট বা বিশেষজ্ঞদের অনুমানভিত্তিক প্রতিক্রিয়ার পরিবর্তে এমন ফর্মে রূপ নেয় যা অপ্রত্যাশিত হতে পারে<ref name=":46" />।
=== একবিংশ শতাব্দীর শিক্ষার্থী ও বিচিত্র চিন্তার প্রয়োজন ===
নকশা চিন্তন একবিংশ শতাব্দীর প্রযুক্তি-ভিত্তিক দক্ষতার জন্য উপযুক্ত। এটি মূলত প্রযুক্তির প্রয়োগের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল ও সমালোচনামূলক দক্ষতা গড়ে তুলতে সহায়তা করে। নকশা হলো একটি আলাদা ধরনের চিন্তা। এটি একটি নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য পূরণের জন্য গুণগত সম্পর্ক তৈরি করে<ref name=":47">Wells, Alastair. (2013). The importance of design thinking for technological literacy: a phenomenological perspective''.'' ''International Journal Technol Des Educ.'' (23:623-636). DOI 10.1007/s10798-012-9207-7.</ref>। আরও স্পষ্ট করে বললে, এক বিশ্ব যা দ্রুত প্রযুক্তিনির্ভর হয়ে উঠছে, নকশা চিন্তন শিক্ষার্থীদের ‘অনুভবে নির্ভর করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ’, সূক্ষ্মতা বোঝার ক্ষমতা এবং তাদের কাজের পরিণতি মূল্যায়নের সক্ষমতা তৈরি করে<ref name=":47" />। নকশাকারকে প্রচলিত সমাধানের বাইরে চিন্তা করতে হয় এবং বর্তমান প্রযুক্তি ব্যবহার করতে জানতে হয়।
সুতরাং, নকশা চিন্তন ব্যবহারকারী শিক্ষার্থীরা প্রযুক্তির সমস্ত রূপকে সম্ভাব্য সমাধানের একটি প্রয়োগ হিসেবে বিবেচনা করে এগিয়ে যাচ্ছে। প্রোটোটাইপ তৈরি কেবল হার্ডওয়্যার প্রয়োগেই সীমাবদ্ধ নয়, এর মধ্যে সফটওয়্যার ব্যবহারের কথাও অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। অগমেন্টেড রিয়ালিটি এবং ভার্চুয়াল রিয়ালিটির মতো সর্বাধুনিক প্রযুক্তিও নকশা চ্যালেঞ্জের সমাধান হিসেবে গ্রহণযোগ্য হতে পারে।
ফলে, নকশা চিন্তনের নির্দিষ্ট প্রয়োগ সেইসব অধ্যয়নের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, যেগুলো প্রযুক্তিগত অভিযোজন এবং উদ্ভাবনের প্রয়োজন। বিশেষভাবে, K-12 BC নতুন পাঠ্যক্রম (২০১৬) তে ফলিত নকশা, দক্ষতা এবং প্রযুক্তির উপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। এখানে প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে তাদের পুরো শিক্ষাজীবন জুড়ে নকশা চিন্তনের জ্ঞান থাকা এবং প্রযুক্তির অগ্রগতির জন্য এর প্রয়োগ থাকা জরুরি। সুতরাং, নকশা চিন্তন শিক্ষার্থীদের সমালোচনামূলক চিন্তার প্রক্রিয়ায় সম্পৃক্ত করার জন্য একটি প্রাসঙ্গিক ও অপরিহার্য উপাদান।
= যুক্তি =
যুক্তি প্রদান একটি প্রক্রিয়া। এর মাধ্যমে কোনো ধারণার পক্ষে বা বিপক্ষে যুক্তি সংগঠিত ও উপস্থাপন করা হয়; অর্থাৎ এটি যুক্তি তৈরি ও প্রদর্শনের একটি কাজ। স্পষ্ট যোগাযোগের পাশাপাশি সমালোচনামূলক চিন্তা একটি ভাল যুক্তির উপাদান। এটি এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে একজন ব্যক্তি যুক্তিসঙ্গতভাবে সমস্যা, বিষয় ও বিরোধের সমাধান করে এবং প্রশ্নগুলোর সমাধান খোঁজে <ref name="jonassen">Jonassen, D.H., & Kim, B. (2010). Arguing to learn ad learning to argue: design justifications and guidelines. Education Technology & Research Development, 58(4), 439-457. DOI 10.1007/s11423-009-9143-8.</ref>।
যুক্তি প্রদানের চর্চায় দুটি মাত্রা রয়েছে: সংলাপ এবং কাঠামো <ref name="macagno">Macagno, F., Mayweg-Paus, W., & Kuhn, D. (2014). Argumentation theory in Education Studies: Coding and Improving Students’ Argumentative Strategies. Topoi, 34, 523-537.</ref>। যুক্তিতর্কপূর্ণ আলোচনায় সংলাপ নির্দিষ্ট ভাষিক কার্যক্রমের উপর ভিত্তি করে – যেমন গ্রহণ, প্রত্যাখ্যান, খণ্ডন ইত্যাদি। এটি বক্তার অবস্থানকে এগিয়ে নিতে সাহায্য করে। একটি যুক্তির কাঠামো আলোচনার বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গিকে আলাদা করে এবং বক্তারা যেসব অবস্থানের পক্ষে যুক্তি দিচ্ছেন তা স্পষ্ট করে <ref name="macagno" />।
== শিক্ষকেরা প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষার বাস্তবায়নে চ্যালেঞ্জ অনুভব করেন ==
এই ধরনের শিক্ষার বিরুদ্ধে একটি প্রধান যুক্তি হলো প্রকল্পটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে পড়তে পারে এবং শ্রেণিকক্ষে যথাযথ সময় না পাওয়ায় কার্যকর সমাধান তৈরির সুযোগ নাও থাকতে পারে। শিক্ষকেরা নিজেরাই প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষারকে গুরুত্ব দেন না কারণ এর বাস্তবায়নে তাদের প্রশিক্ষণ ও প্রয়োজনীয় পটভূমিগত জ্ঞান নেই। প্রযুক্তির মাধ্যমে কার্যকর মূল্যায়ন দিতে আর্থিক সীমাবদ্ধতাও শিক্ষকদের নিরুৎসাহিত করে (এফস্ট্রাটিয়া, ২০১৪, পৃষ্ঠা ১২৫৮)। শিক্ষার্থীরা যে তথ্য অর্জন করে তা বক্তৃতাভিত্তিক শিক্ষা দিয়েও প্রদান করা যায় এবং সমালোচকদের মতে তেমনটাই কার্যকর। তদুপরি, ঝুঁকি হলো শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষে সময় অপচয় করে এবং যদি তারা নিয়মিতভাবে কাজ ও শিক্ষাসংক্রান্ত বিষয়ে মনোযোগী না থাকে, তবে প্রকল্পটি সফল হবে না। প্রচলিত শিক্ষাপদ্ধতির শিক্ষকেরা মনে করেন, প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা শিক্ষার্থীদের বিষয়বস্তুর সাথে সংযোগ রক্ষা এবং সময় ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব শিক্ষকের উপর ফেলে। এটি সকল শিক্ষক রপ্ত করতে পারেন, এমন কোনো শিক্ষাদান পদ্ধতি নয় যা (এফস্ট্রাটিয়া, ২০১৪, পৃষ্ঠা ১২৫৮)।
== সমালোচনামূলক চিন্তার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের আসল ফলাফলের প্রয়োজন ==
প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা বিভিন্ন বিষয়ে প্রযোজ্য কারণ এর রয়েছে শিক্ষায় বহু প্রয়োগ এবং এটি একবিংশ শতাব্দীর শিক্ষার পুনঃসংজ্ঞায়নের (বিভিন্নীকরণ, প্রযুক্তিনির্ভরতা, সহযোগিতা, আন্তঃবিষয়কতা) সঙ্গে বিশেষভাবে প্রাসঙ্গিক। STEM (বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল, গণিত) হলো এমন একটি একবিংশ শতাব্দীর শিক্ষা পদ্ধতি যা প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা ব্যবহারকারী শিক্ষকদের কাছ থেকে উপকৃত হয় কারণ এটি স্বাভাবিকভাবেই বিভিন্ন ক্ষেত্রের মধ্যে সেতুবন্ধ তৈরি করে। STEM এর লক্ষ্য হলো মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার জন্য প্রস্তুত করা এবং তারা যেন বাস্তব জীবনের কাজের জগতে দলবদ্ধভাবে জটিল সমস্যা সমাধান করতে সক্ষম হয়। চিকিৎসা, প্রকৌশল, কম্পিউটার নকশা ও শিক্ষা সহ অনেক সম্ভাব্য পেশা প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা থেকে উপকৃত হতে পারে।
প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের তাদের জ্ঞান বিস্তারের সুযোগ দেয় এবং উচ্চ-চাপের পরিস্থিতিতে সাফল্য অর্জনের পথ তৈরি করে (ক্যাপ্রারো, প্রমুখ, ২০১৩, পৃষ্ঠা ২)। উপরন্তু, এই শিক্ষার্থীরাই তাদের শক্তি ও সীমাবদ্ধতার প্রতি আত্মবিশ্লেষণমূলক দৃষ্টিভঙ্গি অর্জন করে (ক্যাপ্রারো, প্রমুখ, ২০১৩, পৃষ্ঠা ২)। ফলাফল হলো এমন এক শিক্ষার্থী যে সমালোচনামূলক চিন্তায় দক্ষ এবং বাস্তব পরিস্থিতিতে তা প্রয়োগ করার সুযোগ পেয়েছে। উপরন্তু, একটি সমাপ্ত পণ্য নির্মাণ শেখার আসল ফলাফলের উপস্থাপনার একটি বাস্তব প্রত্যাশা। এই পণ্যের ফলাফল দায়বদ্ধতা দাবি করে এবং শিক্ষকের প্রত্যাশা ও প্রকল্পের সীমাবদ্ধতার প্রতি শিক্ষার্থীর অনুগত্য দেখায় (ক্যাপ্রারো, প্রমুখ, ২০১৩, পৃষ্ঠা ২)। শিক্ষার্থী নির্দিষ্ট ফলাফলের উপর মনোযোগ দেয়, কাজের পরিসীমা বোঝে এবং একটি কার্যকর বস্তু উপস্থাপন করে। এর তাৎপর্য হলো শিক্ষার্থীরা উচ্চ-প্রযুক্তিসম্পন্ন, দ্রুতগামী কর্মপরিবেশের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকবে যেখানে উদ্ভাবন, সহযোগিতা এবং ফলাফলের ভিত্তিতে তৈরি পণ্যই সফলতার মূল।
প্রযুক্তি এমন একটি ক্ষেত্র যেখানে প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা ব্যবহার করে বাস্তব জগতে প্রয়োগযোগ্য দক্ষতা গড়ে তোলা যায়। উদাহরণস্বরূপ, কম্পিউটার সিস্টেম নকশাকাররা পূর্বের জ্ঞান থাকায় হয়তো একটি অপারেটিং সিস্টেমের ত্রুটি খুঁজে বের করতে পারেন, কিন্তু তারা সত্যিই বোঝেন না কিভাবে বিভিন্ন উপাদান একসাথে কাজ করে, ফলে তারা তাদের দক্ষতা নিয়ে ভুল আত্মবিশ্বাসে ভোগেন (গ্রে, ২০১৩, পৃষ্ঠা ১)।
== বিঘ্নকারী সাফল্য হিসেবে সমালোচনামূলক চিন্তা ==
নকশা চিন্তন একটি নির্দিষ্ট ধারা অনুসরণ করে যা তত্ত্ব থেকে বাস্তবে রূপান্তরিত হয়। এটি কার্যকর শিক্ষার্থী সমাধান প্রচারে নির্দেশিত শিক্ষার উপর নির্ভর করে এবং অনুসন্ধানের সীমা অতিক্রম করে কারণ অনেক গবেষক মনে করেন, শুধুমাত্র অনুসন্ধান কার্যকর নয় কারণ এটি দীর্ঘমেয়াদী স্মৃতির সীমা অতিক্রম করে (ল্যাজোন্ডার এবং হার্মসেন, ২০১৬, পৃষ্ঠা ২)। নকশা চিন্তন শিক্ষার্থীকে তাদের প্রক্রিয়ার উপর মেটা-অ্যানালাইসিস করতে উৎসাহিত করে। সৃজনশীলতা (উদ্ভাবনী চিন্তা) নকশা চিন্তনে স্পষ্ট হয়। এটি মনোযোগের বিস্তার এবং মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করার মাধ্যমে স্মৃতিকে উদ্দীপিত করে (গোল্ডস্মিট, ২০১৬, পৃষ্ঠা ১)। হু প্রমুখ (২০১০) একটি প্রক্রিয়া তৈরি করেন যাতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নির্দিষ্ট নকশা প্রকল্পের প্রতি যৌক্তিক সমালোচনামূলক চিন্তা প্রয়োগ করে, নির্দিষ্ট পাঠ পদ্ধতির মাধ্যমে চার বছরের সময়কালে। গবেষণার ফলাফল দেখায়, এই শিক্ষার্থীদের চিন্তার ক্ষমতা (এসডি .78) বৃদ্ধি পায় এবং এই প্রভাব দীর্ঘমেয়াদে অ্যাকাডেমিক সাফল্য বৃদ্ধিতে সহায়ক হয় (হু, প্রমুখ। ২০১০, পৃষ্ঠা ৫৫৪)। এটি সৃজনশীল প্রক্রিয়ায় বিচিত্র ও সঙ্কলিত চিন্তার ব্যবহার নির্দেশ করে এবং এই দুই ধরনের চিন্তা সৃজনশীলতায় গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করা হয়েছে (গোল্ডস্মিট, ২০১৬, পৃষ্ঠা ২)। এটি উচ্চ স্তরের চিন্তার প্রতিফলন এবং দীর্ঘমেয়াদী স্মৃতির সাথে সংশ্লিষ্ট। নকশা চিন্তন বিশেষভাবে শিক্ষার্থীদের উন্নয়নে সক্ষমতা প্রদর্শন করে।
== যুক্তি প্রদানের প্রক্রিয়া ==
=== যুক্তির স্তরসমূহ ===
মানসিক প্রক্রিয়া যা একজনকে যুক্তি তৈরি, বিশ্লেষণ ও মূল্যায়নে সক্ষম করে <ref name="horn">Hornikx, J., & Hahn, U. (2012). Reasoning and argumentation: Towards an integrated psychology of argumentation. Thinking & Reasoning, 18(3), 225-243. DOI: 10.1080/13546783.2012.674715.</ref>। এই স্তরগুলো এই অধ্যায়ে পরে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হবে।
{| class="wikitable"
|১. '''উৎপাদন'''
|কীভাবে কেউ একটি দৃষ্টিভঙ্গি, মতামত বা দাবির পক্ষে যুক্তি তৈরি করে।
|-
|২. '''বিশ্লেষণ'''
|প্রস্তাবিত যুক্তিগুলোর বৈধতা মূল্যায়ন।
|-
|৩. '''মূল্যায়ন'''
|একটি যুক্তির বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি অনুসন্ধান।
|}
== শিক্ষায় যুক্তি প্রদানের প্রভাব ==
যুক্তি প্রদান কেবল সমালোচনামূলক চিন্তা এর বিকাশকে প্রভাবিত করে না, বরং শিক্ষার অন্যান্য দিকেও প্রভাব ফেলে। উদাহরণস্বরূপ, একটি জুনিয়র হাই স্কুলের বিজ্ঞান শ্রেণিতে পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, শিক্ষার্থীরা যুক্তি প্রদানে অংশগ্রহণ করলে তারা তাদের পূর্বজ্ঞান ও অভিজ্ঞতার উপর নির্ভর করে <ref name="aufs">Aufschnaiter, C., Erduran, S., Osborne, J., & Simon, S. (2008). Arguing to learn and learning to argue: Case studies of how students' argumentation relates to their scientific knowledge. Journal of Research in Science Teaching, 45(1), 101-131. doi:10.1002/tea.20213</ref>। কেবল পূর্বজ্ঞান প্রয়োগই নয়, যুক্তি প্রদান শিক্ষার্থীদের জ্ঞানকে একত্রিত করতে এবং বিষয়টির উচ্চতর পর্যায়ে বোঝাপড়া বাড়াতে সাহায্য করে <ref name="aufs" />। এগুলো শিক্ষায় যুক্তি প্রদানের প্রভাবের কয়েকটি উদাহরণ মাত্র।
ভিডিও: শিক্ষায় যুক্তি: https://www.youtube.com/watch?v=YHm5xUZmCDg
= সমালোচনামূলক চিন্তা ও যুক্তির মধ্যে সম্পর্ক =
যুক্তি প্রদান ও সমালোচনামূলক চিন্তা শিক্ষাদানে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কযুক্ত বলে মনে হয়। অনেক গবেষণায় এই দুটি উপাদান একে অপরকে কিভাবে প্রভাবিত করে তা দেখানো হয়েছে। তথ্য উপাত্ত অনুযায়ী, যখন শিক্ষায় সমালোচনামূলক চিন্তা অন্তর্ভুক্ত করা হয়, তখন এটি শিক্ষার্থীদের যুক্তি প্রদানের ক্ষমতাকে প্রভাবিত করে <ref>Bensley, A., Crowe, D., Bernhardt, P., Buckner, C., & Allman, A. (2010). Teaching and assessing CT skills for argument analysis in psychology. Teaching of Psychology, 37(2), 91-96. doi:10.1080/00986281003626656</ref>। যেসব কার্যক্রমে সমালোচনামূলক চিন্তা এবং সৃজনশীল চিন্তা উভয়ের প্রয়োজন, সেগুলোকে যুক্তিকেন্দ্রিক হওয়া উচিত <ref>Glassner, A., & Schwarz, B. B. (2007). What stands and develops between creative and critical thinking? argumentation?. Thinking Skills and Creativity, 2(1), 10-18. doi:10.1016/j.tsc.2006.10.001</ref> এবং যুক্তি বিশ্লেষণ ও গল্প বলার মাধ্যমে সমালোচনামূলক চিন্তা উন্নত করা যায় <ref>Gold J., Holman D., & Thorpe R. (2002). The role of argument analysis and story telling in facilitating critical thinking. Management Learning, 33(3), 371-388. doi:10.1177/1350507602333005</ref>। অর্থাৎ, বলা যায় যে সমালোচনামূলক চিন্তা ও যুক্তি উভয়ই একে অপরের বিকাশকে প্রভাবিত করে এবং শিক্ষার ও জ্ঞানের অন্যান্য ক্ষেত্রেও এদের প্রভাব রয়েছে।
== সমালোচনামূলক চিন্তা কীভাবে যুক্তিকে উন্নত করে ==
সমালোচনামূলক চিন্তা এমন তথ্যের মূল্যায়নে সহায়তা করে যা একটি যুক্তি তৈরির জন্য প্রয়োজন। এটি প্রতিটি অবস্থানের বৈধতা যাচাইয়ে সাহায্য করে। এটি উৎসের বিশ্বাসযোগ্যতা মূল্যায়নে ব্যবহৃত হয় এবং বিষয়টি একাধিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বিশ্লেষণে সহায়তা করে।
সমালোচনামূলক চিন্তা এবং যুক্তির উপাদানগুলোর মধ্যে অনেক সাধারণ বৈশিষ্ট্য রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, একটি বিবৃতির পক্ষে ও বিপক্ষে প্রমাণ পর্যালোচনা করা এবং যেসব তথ্য সেই দাবিগুলোর ভিত্তি গঠন করে, সেগুলো পরীক্ষা করা — এ দুটি ক্ষেত্রই একটি সঠিক যুক্তি তৈরি এবং সমালোচনামূলক চিন্তার অংশ।
এই অংশে উল্লেখিত চারটি সমালোচনামূলক চিন্তা উপাদানের আলোকে সমালোচনামূলক চিন্তা কিভাবে যুক্তি প্রদানের ক্ষমতাকে প্রভাবিত করে, তা বিশ্লেষণ করা হবে। প্রথমত, ব্রুনিং প্রমুখ (২০১১) অনুসারে, জ্ঞানের উপাদান সমস্যার সমাধান প্রক্রিয়াকে সক্রিয়ভাবে প্রভাবিত করে <ref name="bruningrh">Bruning, R. H., Schraw, G. J., & Norby, M. M. (2011). Cognitive psychology and instruction (5th ed.) Pearson.</ref>। সুতরাং, শিক্ষার্থীদের যা নিয়ে তারা যুক্তি দিচ্ছে, সেই বিষয়ে যথাযথ জ্ঞানের ভিত্তি থাকা আবশ্যক। ভালোভাবে প্রতিষ্ঠিত তথ্য ব্যবহার করে নতুন তথ্যের বিশ্বাসযোগ্যতা বিশ্লেষণ করতে পারার ক্ষমতা সেই শিক্ষার্থীদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যারা তাদের যুক্তি প্রদানের দক্ষতা বাড়াতে চায়। দ্বিতীয় উপাদান হলো '''অনুমান'''। চেসেভার এবং সিমারি (২০০৭) তাদের যুক্তি নির্মাণ নিয়ে আলোচনায় যেমনটি উল্লেখ করেছেন, তথ্য থেকে নতুন সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর ক্ষেত্রে '''যুক্তিপূর্ণ অনুমান''' একটি অপরিহার্য উপাদান<ref>Chesñevar, I., & Simari, G. (2007). Modelling inference in argumentation through labelled deduction: Formalization and logical properties. Logica Universalis, 2007, Volume 1, Number 1, Page 93, 1(1), 93-124. doi:10.1007/s11787-006-0005-4</ref>
[[চিত্র:Reasoning.jpg|থাম্ব|উপসংহার ও অনুমান—উভয়ই সমালোচনামূলক চিন্তন এবং যুক্তিবিদ্যায় গুরুত্বপূর্ণ।]]
অর্থাৎ, পূর্বে প্রাপ্ত তথ্য থেকে সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর ক্ষমতা একটি যুক্তির উন্নয়ন এবং তা বিস্তারিতভাবে উপস্থাপনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। একইভাবে, '''অনুমানভিত্তিক চিন্তন'''। এটি সমালোচনামূলক চিন্তনের একটি অংশ, যুক্তির গঠনে গুরুত্বপূর্ণ। বার্নিং ও তার সহকর্মীদের মতে, বিদ্যমান তথ্য থেকে একটি সাধারণ সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতাসমালোচনামূলক চিন্তনপ্রক্রিয়ার একটি অপরিহার্য অংশ<ref name="bruningrh2" />। ওন্টান এবং প্লাজা (২০১৫) যুক্তি দেন,, অনুমান যোগাযোগের মাধ্যমে যুক্তি গঠনে ব্যবহৃত হতে পারে। তদুপরি, একটি দলের প্রতিটি সদস্যের দেওয়া তথ্য একত্র করে সাধারণ সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর প্রক্রিয়া দেখায়, অনুমান কীভাবে যুক্তিতে পারস্পরিক সহযোগিতাকে ফলপ্রসূ করতে পারে<ref>Ontañón, S., & Plaza, E. (2015). Coordinated inductive learning using argumentation-based communication. Autonomous Agents and Multi-Agent Systems, 29(2), 266-304. doi:10.1007/s10458-014-9256-2</ref>। তাই এটি স্পষ্ট যেসমালোচনামূলক চিন্তনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে অনুমান যুক্তি এবং সহযোগিতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।সমালোচনামূলক চিন্তনের শেষ উপাদান। এটি সম্ভবত যুক্তির সাথে সবচেয়ে বেশি সম্পর্কযুক্ত, সেটি হলো '''মূল্যায়ন'''। বার্নিং ও তার সহকর্মীরা মূল্যায়নের উপাদান হিসেবে বিশ্লেষণ, বিচার এবং পরিমাপের কথা বলেন। এই তিনটি উপাদান একটি সফল যুক্তি গঠনের জন্য অপরিহার্য <ref name="bruningrh2" />। হর্নিক্স এবং হ্যান (২০১২) যুক্তি গঠনের তিনটি মূল উপাদানের একটি কাঠামো প্রদান করেন। এটি বার্নিং ও তার সহকর্মীদের উল্লেখিতসমালোচনামূলক চিন্তনের উপাদানের সঙ্গে গভীরভাবে সম্পর্কযুক্ত<ref name="horn2" />।
=== উৎপাদন, বিশ্লেষণ ও মূল্যায়ন ===
হর্নিক্স এবং হ্যান তাদের গবেষণায় যুক্তি গঠনের যে তিনটি দিকের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন, তা হলো '''উৎপাদন''', '''বিশ্লেষণ''' এবং '''মূল্যায়ন'''<ref name="horn2" />। যুক্তি উৎপাদনেসমালোচনামূলক চিন্তনের মূল উপাদানগুলো ব্যবহৃত হয়; এর মধ্যে থাকে মূল্যায়ন, বিশ্লেষণ, বিচার এবং একজন যে যুক্তির ওপর দৃঢ় অবস্থান নিতে চান, সেটির যথার্থতা নির্ণয়। যুক্তির বিশ্লেষণ এবংসমালোচনামূলক চিন্তনবিশ্লেষণ একসাথে চলে। কারণ একটি সফল এবং যথার্থভাবে সমর্থিত যুক্তি গঠনে তথ্য ও মতামতের সমালোচনামূলক বিশ্লেষণ আবশ্যক। একইভাবে, মূল্যায়নও যুক্তি বিশ্লেষণে ব্যবহৃত হয় কারণ এটিসমালোচনামূলক চিন্তনথেকে উদ্ভূত। তথ্যের উৎস এবং নির্ভরযোগ্যতা যাচাই একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটিতে কেউ তথ্যপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। সমালোচনামূলক চিন্তনের মূল্যায়নের চূড়ান্ত দিক হলো মেটাকগনিশন, অর্থাৎ নিজের চিন্তা নিয়ে চিন্তা করা বা নিজস্ব চিন্তাকে মনিটর করা <ref name="bruningrh2" />। নিজের চিন্তা পর্যবেক্ষণ এবং নেওয়া সিদ্ধান্তগুলোর যৌক্তিকতা বুঝে নেওয়া যুক্তি গঠনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। পিন্টু ও তার সহকর্মীদের গবেষণা অনুসারে, যুক্তি দেওয়ার ক্ষমতা এবং মেটাকগনিশনের মধ্যে একটি শক্তিশালী সম্পর্ক রয়েছে<ref>Pinto, M., Iliceto, P., & Melagno, S. (2012). Argumentative abilities in metacognition and in metalinguistics: A study on university students. European Journal of Psychology of Education, 27(1), 35-58. doi:10.1007/s10212-011-0064-7</ref>। অন্যভাবে বললে, একজন ব্যক্তি নিজের চিন্তা ও তার যথার্থতা নিয়ে যত বেশি ভাবতে পারেন, ততই তারা সুসংগঠিত যুক্তি প্রদান করতে সক্ষম হন। চিন্তাকে ভাষায় বা যুক্তিতে রূপান্তরের মাধ্যমে দেখা যায় যে,সমালোচনামূলক চিন্তনযুক্তি গঠনে ব্যাপক প্রভাব রাখে, যদিও কিছু গবেষণা এই সম্পর্কের পারস্পরিকতা নিয়ে বিভিন্ন দিকও তুলে ধরে।
প্রদত্ত গবেষণাগুলোর মাধ্যমে এটি স্পষ্ট হয় যে, জ্ঞ্যান, অনুমান, মূল্যায়ন এবং মেটাকগনিশনের মতো সমালোচনামূলক চিন্তন দক্ষতাগুলো যুক্তি গঠনের ওপর বড় প্রভাব ফেলে। তবে এর পাশাপাশি এটিও উঠে আসে যে, পাঠ্যক্রমেসমালোচনামূলক চিন্তনশেখানোর মাধ্যমে যুক্তি বিশ্লেষণ দক্ষতা বাড়ানো যায়। বেনসলি ও তার সহকর্মীদের (২০১০) একটি গবেষণা ইঙ্গিত দেয় যে, যখন কোনো কোর্সে সরাসরিসমালোচনামূলক চিন্তনশেখানো হয় এবং অন্য দলগুলোকে তা শেখানো না হয়, তখনসমালোচনামূলক চিন্তনশেখা দল যুক্তি বিশ্লেষণের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য উন্নতি করে<ref>Bensley, A., Crowe, D., Bernhardt, P., Buckner, C., & Allman, A. (2010). Teaching and assessing critical thinking skills for argument analysis in psychology. Teaching of Psychology, 37(2), 91-96. doi:10.1080/00986281003626656</ref>। যুক্তি গঠনে সমালোচনামূলক চিন্তন দক্ষতার ভূমিকা নিয়ে অনেক যুক্তি উপস্থাপন করা যায়, তবে এই গবেষণাটি দেখায়, সাধারণভাবেসমালোচনামূলক চিন্তনশেখানোর মাধ্যমেও শিক্ষার্থীদের যুক্তি বিশ্লেষণ ক্ষমতা বাড়ানো সম্ভব। যদি শিক্ষকরা শ্রেণিকক্ষে যুক্তি এবংসমালোচনামূলক চিন্তনউভয়ের বিকাশ চান, তাহলে এই বিষয়টি পরবর্তী অধ্যায়ের অংশে বিবেচনায় নেওয়া উচিত।
== কীভাবে যুক্তি গঠন সমালোচনামূলক চিন্তন উন্নত করে ==
যুক্তি গঠনসমালোচনামূলক চিন্তনপ্রক্রিয়ার একটি অংশ, এটি চিন্তার স্বচ্ছতা আনে এবং উপযুক্ত তথ্য বিশ্লেষণের ক্ষমতা বাড়ায়। এটি মেটাকগনিশনের অংশ। কারণ একজনকে নিজের ধারণাগুলোর মূল্যায়ন করতে হয়। সমালোচনামূলক চিন্তন দক্ষতা যেমন অনুমান ও/অথবা যুক্তিপূর্ণ সিদ্ধান্ত ব্যবহৃত হয় একটি সংগঠিত ও স্পষ্ট যুক্তি তৈরি করতে।
[[চিত্র:Toulmin_Argumentation_Example.gif|থাম্ব|টলমিন যুক্তি উদাহরণ—যুক্তি গঠনসমালোচনামূলক চিন্তনপ্রক্রিয়ার একটি অংশ, এটি চিন্তার স্বচ্ছতা আনে এবং উপযুক্ত তথ্য বিশ্লেষণের ক্ষমতা বাড়ায়। সমালোচনামূলক চিন্তন দক্ষতা যেমন অনুমান ও/অথবা যুক্তি ব্যবহৃত হয় একটি সংগঠিত ও স্পষ্ট যুক্তি তৈরি করতে।]]
গ্লাসনার এবং শোয়ার্জ (২০০৭) এর গবেষণায় দেখা যায়, যুক্তি গঠন সমালোচনামূলক এবং সৃজনশীল চিন্তার সংযোগস্থলে অবস্থান করে। তারা যুক্তি দেন,, কিশোরদের ক্ষেত্রে যুক্তি গঠনের মাধ্যমে চিন্তন হয়। এটি একাধারে সমালোচনামূলক এবং সৃজনশীল। তারা বলেন, চিন্তাভাবনা সবসময়ই অন্যান্য দৃষ্টিভঙ্গি ও তথ্য দ্বারা প্রভাবিত হয়। নতুন তথ্য নিয়ে সৃজনশীল এবং সমালোচনামূলকভাবে চিন্তা করার ক্ষমতা যুক্তি গঠনের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত হয়<ref>Glassner, A., & Schwarz, B. B. (2007). What stands and develops between creative and critical thinking? argumentation?. Thinking Skills and Creativity, 2(1), 10-18. doi:10.1016/j.tsc.2006.10.001</ref>। নতুন তথ্য গ্রহণ, মূল্যায়ন ও তা নিয়ে উদার মনোভাব প্রকাশ—এই পারস্পরিক প্রক্রিয়াকে সমালোচনামূলক ও সৃজনশীল চিন্তার সম্মিলিত কার্যক্রম হিসেবে দেখা যায়। তবে একজন ব্যক্তি যখন নতুন তথ্যের ভিত্তিতে সিদ্ধান্তে পৌঁছায়, তখন সেই সিদ্ধান্তের যৌক্তিকতা নির্ণয় করাই মূল বিষয়। যুক্তি গঠন সমালোচনামূলক চিন্তন দক্ষতাকে বিকাশে সহায়তা করে, এটি স্পষ্ট।
যদিও এটি সত্য যেসমালোচনামূলক চিন্তনযুক্তি গঠনে সরাসরি প্রভাব ফেলে, এই সম্পর্ককে দ্বিমুখী হিসেবেও দেখা যায়। এখানে যুক্তি শেখানো সমালোচনামূলক চিন্তন দক্ষতা তৈরি করে। গোল্ড ও তার সহকর্মীদের একটি গবেষণায় দেখা যায়, যুক্তি বিশ্লেষণ ও গল্প বলার মাধ্যমে সমালোচনামূলক চিন্তন দক্ষতা গড়ে তোলা যায়<ref>Gold J., Holman D., & Thorpe R. (2002). The role of argument analysis and story telling in facilitating critical thinking. Management Learning, 33(3), 371-388. doi:10.1177/1350507602333005</ref>। এই গবেষণাটি প্রমাণ করে, যুক্তি বিশ্লেষণ এবং গল্প বলার প্রক্রিয়া কেবল শিক্ষার্থীদের জন্য নয়, বরং প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রেও উপকারী। এই গবেষণায় অংশগ্রহণকারী ছিলেন অভিজ্ঞ ম্যানেজারগণ। গবেষণায়সমালোচনামূলক চিন্তনের চারটি দক্ষতা চিহ্নিত করা হয়েছে যেগুলো যুক্তি বিশ্লেষণ ও গল্প বলার মাধ্যমে উন্নত হতে পারে: বাগ্মিতার সমালোচনা, ঐতিহ্য, কর্তৃত্ব এবং জ্ঞান। এই চারটি দক্ষতা সাধারণত উচ্চবিদ্যালয়ে শেখানো সমালোচনামূলক চিন্তন দক্ষতার চেয়ে গভীরতর, এবং এগুলোর বিকাশ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যুক্তি গঠনসমালোচনামূলক চিন্তনকে এমনভাবে প্রভাবিত করতে পারে। এটি ব্যক্তিকে নিজের মূল্যবোধ ও বিশ্বাস নিয়ে আরও গভীরভাবে চিন্তা করতে সক্ষম করে এবং নতুন তথ্য পেলে তা পুনর্মূল্যায়ন করার সুযোগ দেয়।
উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য যুক্তি গঠনসমালোচনামূলক চিন্তনএবং সৃজনশীল চিন্তার উভয় ক্ষেত্রেই উপকারী। ডেমির এবং ইসলেইন (২০১৫) এর গবেষণায় দেখা যায়, নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে বিজ্ঞান শিক্ষায় যুক্তিভিত্তিক পদ্ধতি প্রয়োগ করলে উভয় ধরনের চিন্তার দক্ষতা বৃদ্ধি পায়<ref>Demir, B., & İsleyen, T. (2015). The effects of argumentation based science learning approach on creative thinking skills of students. Educational Research Quarterly, 39(1), 49-82.</ref>। শিক্ষার্থীরা যখন যুক্তি গঠনের মাধ্যমেসমালোচনামূলক চিন্তনএবং সৃজনশীল চিন্তার বিকাশ ঘটাতে পারে, তখন এটি অত্যন্ত ইতিবাচক ফল দেয়। যেহেতু আগেই বলা হয়েছে যে, সৃজনশীল এবং সমালোচনামূলক চিন্তন দক্ষতা যুক্তির মাধ্যমে চিন্তা করে উপসংহারে পৌঁছায়, তাই শ্রেণিকক্ষে যুক্তি-নির্ভর পাঠদান উভয় ধরনের দক্ষতাই বৃদ্ধি করে। সারসংক্ষেপে বলা যায়, যুক্তি গঠন এবংসমালোচনামূলক চিন্তনএর মধ্যে একটি দৃঢ় সম্পর্ক রয়েছে, এবংসমালোচনামূলক চিন্তনউপশ্রেণির অনেক দক্ষতার সাথেই এদের সম্পর্ক আছে। এই দুটি ধারণার সুনির্দিষ্ট পাঠদান একে অপরের বিকাশে সহায়ক এবং পরিপূরক বলেই প্রতীয়মান। এই অধ্যায়ের পরবর্তী অংশে এই বিষয়গুলো পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্তির উপযোগিতা এবং কীভাবে তারা যৌক্তিক চিন্তন ও জীবনের জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা বৃদ্ধিতে সহায়ক—তা আলোচনা করা হবে।
= যুক্তি ও সমালোচনামূলক চিন্তার পাঠদান =
[[চিত্র:HUJI_Election_Debate_(8361985738).jpg|থাম্ব|বিতর্ক হচ্ছে যুক্তি ওসমালোচনামূলক চিন্তনের একটি ব্যবহারিক প্রয়োগ]]
== শিক্ষণ কৌশল ==
সমালোচনামূলক চিন্তনশেখানোর কার্যকর পদ্ধতি হলো চিন্তার দক্ষতাগুলোকে একটি পরিস্কার এবং ধারাবাহিক ধাপে বিন্যস্ত করা। এই ধাপগুলো শিক্ষার্থীদের তাদের নিজস্ব চিন্তন পদ্ধতি সম্পর্কে সচেতন করে এবং বাস্তব জীবনে তা প্রয়োগের উপযোগিতা শেখায়। যুক্তিপূর্ণ পদ্ধতিতে। এখানে শিক্ষার্থীরা বিস্তৃত ধারণা থেকে শুরু করে নির্দিষ্ট কাজের দিকে অগ্রসর হয়,সমালোচনামূলক চিন্তনের মাধ্যমে পূর্বে জানা কিছু থেকে নতুন কিছু তৈরি করতে পারে।সমালোচনামূলক চিন্তনের চেতনায়, শিক্ষার্থীর নিজের দক্ষতা সম্পর্কে সচেতনতা তাদের শিক্ষায় একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের শুধু ফলাফলের ওপর মনোযোগ না দিয়ে, বরং লক্ষ্য অর্জনের পেছনের চিন্তন প্রক্রিয়া সম্পর্কে ভাবতে উৎসাহিত করা উচিত। এই ধরণের আত্মমূল্যায়নের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা যুক্তির মতো কাজের জন্য প্রয়োজনীয় চিন্তার দক্ষতা সম্পর্কে আরও সচেতন হয়ে উঠতে পারে।
সমালোচনামূলক চিন্তন এবং যুক্তি প্রদানের শিক্ষা দেওয়ার অর্থ হলো প্রথমেই সমালোচনামূলক চিন্তন দক্ষতা ব্যবহারের প্রতি মনোযোগ দেওয়া। সমালোচনামূলক চিন্তা শেখানোর জন্য একটি পরিকল্পনা তৈরির সময়, একজনকে বিভিন্ন পদ্ধতি মূল্যায়ন ও বিশ্লেষণ করে তথ্যভিত্তিক সিদ্ধান্ত নিতে হয় যে কোনটি তার শ্রেণির জন্য সবচেয়ে উপযোগী হবে। সমালোচনামূলক চিন্তা শেখানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের পন্থা রয়েছে। ''বর্ণনামূলক মডেলগুলো'' বোঝায় কীভাবে "ভালো" চিন্তাভাবনা কাজ করে। এটি বিশেষভাবে মনোযোগ দেয় এমন চিন্তন কৌশলের উপর, যেমন হিউরিস্টিক্স যা তথ্য মূল্যায়ন ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে সাহায্য করে। অন্যদিকে, ''নির্দেশনামূলক মডেলগুলো'' বোঝায় কী হওয়া উচিত একটি ভালো চিন্তার ধরণ। এক অর্থে, এই মডেলগুলো একটি প্রোটোটাইপ বা “নির্দেশনা” দেয় ভালো চিন্তা কী হওয়া উচিত। এই পদ্ধতিটি তুলনামূলকভাবে কম প্রয়োগযোগ্য এবং উচ্চতর স্তরের চিন্তাভাবনার জন্য একটি উচ্চ মানদণ্ড স্থাপন করে। যেকোনো পদ্ধতি নির্বাচন করার আগে, একজন শিক্ষককে অবশ্যই নির্ধারণ করতে হবে তিনি শিক্ষার্থীদের কোন নির্দিষ্ট ধরণের সমালোচনামূলক চিন্তন দক্ষতা শেখাতে চান। এই প্রক্রিয়ায় শিক্ষার্থীদের বয়স, কর্মদক্ষতা এবং জ্ঞানীয় ক্ষমতা বিবেচনা করে এমন একটি কর্মসূচি তৈরি করতে হয় যা বেশিরভাগ, যদি না হয় সব, শিক্ষার্থীদের উপকারে আসে। একজন শিক্ষকের জন্য শেষ যে বিষয়ে বিবেচনা করা উচিত, তা হলো '''সরাসরি''' নাকি '''পরোক্ষ পদ্ধতিতে''' সমালোচনামূলক চিন্তন শেখানো হবে। ''সরাসরি নির্দেশনা'' বোঝায় সমালোচনামূলক চিন্তন দক্ষতার স্পষ্ট শিক্ষা যা নিয়ম এবং ধাপগুলো জোর দিয়ে শেখায়। এটি সবচেয়ে কার্যকরী হয় যখন সমস্যার সমাধান সীমিত বা সহজ হয়। এর বিপরীতে, ''পরোক্ষ নির্দেশনা'' হলো শিক্ষার্থী-কেন্দ্রিক শিক্ষা পদ্ধতি যা শিক্ষার্থীর নিজস্ব চিন্তাধারা গঠনের উপর জোর দেয়। এটি সবচেয়ে কার্যকর যখন সমস্যা অনির্ধারিত, অস্পষ্ট বা ব্যাখ্যার ওপর নির্ভরশীল হয়, যেমন নৈতিক বা নীতিশাস্ত্রভিত্তিক সিদ্ধান্ত <ref name="bruningrh3" />।
পরোক্ষ সমালোচনামূলক চিন্তন শেখানোর একটি উদাহরণ হলো সাহিত্য পর্যালোচনা লেখার প্রক্রিয়া। চ্যান্ডলার ও ডেডম্যান-এর মতে, সাহিত্য পর্যালোচনার জন্য তথ্য সংগ্রহ, বিশ্লেষণ এবং ফলাফল সংক্ষেপে উপস্থাপন করার দক্ষতা অর্জন সমালোচনামূলক চিন্তা চর্চারই একটি অংশ। একটি শিক্ষণ নোটে, তারা একটি বিএসডব্লিউ (ব্যাচেলর অব সোশ্যাল ওয়ার্ক) প্রোগ্রাম বিশ্লেষণ করেন যা স্নাতক শিক্ষার্থীদের মধ্যে সমালোচনামূলক চিন্তাকে উন্নত করতে চেয়েছিল। তারা নির্দিষ্টভাবে বলেন, সাহিত্য পর্যালোচনা তৈরির মতো ব্যবহারিক লেখার অ্যাসাইনমেন্ট শিক্ষার্থীদের পুনর্বিবেচনা এবং প্রতিফলনের সাথে যুক্ত করতে সাহায্য করে এবং তাদের চিন্তার পরিধি বাড়িয়ে বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি বিশ্লেষণের সুযোগ দেয়। তারা দেখতে পান, যখন এই অ্যাসাইনমেন্টকে একটি সমালোচনামূলক পর্যালোচক হিসেবে শিক্ষার্থীদের বিকাশের একটি হাতিয়ার হিসেবে উপস্থাপন করা হয়, তখন শিক্ষার্থীরা এটিকে শুধুমাত্র কোর্স উপাদানের সারাংশ হিসেবে নয় বরং সমালোচনামূলক পাঠ ও লেখন দক্ষতা উন্নয়নের সুযোগ হিসেবেও দেখেছে। আলোচনার সময় প্রশ্নের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের তাদের প্রবন্ধের উৎসের কর্তৃত্ব ও বিশ্বাসযোগ্যতা বিশ্লেষণে সাহায্য করা হয়। শিক্ষার্থীরা তাদের বিষয়ে আরও প্রমাণ সংগ্রহে সচেষ্ট হয়। বিএসডব্লিউ প্রোগ্রামের শেষে শিক্ষার্থীরা সফলভাবে সুচিন্তিত সাহিত্য পর্যালোচনা তৈরি করে <ref>Chandler, S. & Dedman, D.E. (2012). Writing a Literature Review: An Essential Component of Critical Thinking. The Journal of Baccalaureate Social Work, 17. 160-165.</ref>। এই প্রোগ্রামটি সমালোচনামূলক চিন্তন দক্ষতার নিঃশব্দ শিক্ষা প্রদান করে। এখানে শিক্ষকের সাথে সংলাপ এবং সহপাঠী অংশগ্রহণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এখানে নির্দিষ্ট দক্ষতা বা ধাপ স্পষ্টভাবে বলা হয় না, বরং শিক্ষার্থীদের একটি অ্যাসাইনমেন্টের মাধ্যমে সমালোচনামূলক চিন্তা অনুশীলনে নিয়ে যাওয়া হয়। যখন শিক্ষার্থীরা অ্যাসাইনমেন্টে কাজ করে, তখন তাদের যুক্তি, বিশ্লেষণ এবং অনুমানমূলক দক্ষতা ব্যবহার করতে হয় যাতে তারা তাদের বিষয় সংক্রান্ত প্রমাণগুলোকে সংহত করে সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারে। অ্যাসাইনমেন্ট ভিত্তিক সমালোচনামূলক চিন্তা দক্ষতার ব্যবহার শিক্ষার্থীদের মধ্যে পরোক্ষ নির্দেশনার মাধ্যমে এই দক্ষতা গড়ে তোলে।
[[চিত্র:False_dichotomy_public_transport.png|থাম্ব|যুক্তির মানচিত্র একটি যুক্তি উপস্থাপনের দৃশ্যায়ন]]
যুক্তির মানচিত্র হলো যুক্তি উপস্থাপনের একটি ভিজ্যুয়াল উপায়। নিচে যুক্তির মানচিত্র তৈরির সফটওয়্যারগুলোর লিংক দেওয়া হলো:
https://www.rationaleonline.com/
http://www.argunet.org/editor/
http://debategraph.org/planet
https://www.truthmapping.com/map/1021/#s7164
== সমালোচনামূলক চিন্তনের জন্য দক্ষতা ভিত্তিক প্রোগ্রাম ==
এই প্রোগ্রামগুলো বিকল্প শিক্ষণ পদ্ধতির মাধ্যমে সমালোচনামূলক চিন্তন দক্ষতা গঠনে সহায়তা করে, যেমন সমস্যা সমাধান। সাধারণত এগুলো বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের জন্য তৈরি করা হয়, যেমন শেখার অক্ষমতা বা জ্ঞানীয় ঘাটতিসম্পন্ন শিক্ষার্থীরা।
=== CoRT চিন্তন সামগ্রী ===
CoRT (কগনিটিভ রিসার্চ ট্রাস্ট) প্রোগ্রামটি ডি বোনো-র ধারণার ওপর ভিত্তি করে তৈরি। এখানে বলা হয়েছে চিন্তন দক্ষতাকে স্কুলে একটি বিষয় হিসেবে শেখানো উচিত <ref name="alf">Al-Faoury, O.H., & Khwaileh, F. (2014). The Effect of Teaching CoRT Program No. (4) Entitles “Creativity” on the Gifted Learners’ Writing in Ein El-Basha Center for Gifted Students. Theory and Practice in Language Studies, 4(11), 2249-2257. doi:10.4304/tpls.4.11.2249-2257.</ref>। চিন্তন সামগ্রী মূলত চিন্তন দক্ষতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে তৈরি। এই দক্ষতা ভিত্তিক প্রোগ্রাম গেস্টাল্ট পদ্ধতির অনুসরণ করে এবং সমস্যা সমাধানে পারসেপচুয়াল ফ্যাক্টরের উপর গুরুত্ব দেয়। এটি সাধারণত দুই বছরের একটি কোর্স যা বিভিন্ন বয়সের শিশুদের উপযোগী। পাঠগুলো সৃজনশীল চিন্তা, সমস্যা সমাধান ও আন্তঃব্যক্তিক দক্ষতা বিকাশে সহায়তা করে। সামগ্রীগুলো ছয়টি ইউনিটে বিভক্ত এবং পরিকল্পনা, বিশ্লেষণ, তুলনা, নির্বাচন, মূল্যায়ন ও বিকল্প ধারণা তৈরির মতো বিষয় অন্তর্ভুক্ত করে। একটি সাধারণ ইউনিটে লিফলেট থাকে যা একটি নির্দিষ্ট বিষয় কাভার করে, এরপর অনুশীলনের জন্য উদাহরণ দেওয়া হয়। এই লিফলেটগুলো সাধারণত দলীয় কার্যক্রমে বেশি কার্যকর। ইউনিটগুলোর মূল লক্ষ্য হলো চিন্তন দক্ষতা অনুশীলন করানো, তাই পাঠের অধিকাংশ সময় এই বিষয়গুলোর চর্চার জন্য বরাদ্দ থাকে <ref name="bruningrh3" />।
এই স্বতন্ত্র প্রোগ্রামের উপর করা অধিকাংশ গবেষণা সৃজনশীল চিন্তা বিকাশের উপর কেন্দ্রীভূত, তবে এটি এই অধ্যায়ে উল্লিখিত অন্যান্য প্রোগ্রামগুলোর তুলনায় তুলনামূলকভাবে বেশি বিস্তৃত। CoRT প্রোগ্রামটি মেধাবী শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। আল-ফাউরি ও খোয়াইলেহ (২০১৪) CoRT প্রোগ্রামটি মেধাবী শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল লেখার উপর কী ধরনের প্রভাব ফেলে তা মূল্যায়ন করেন। শিক্ষার্থীদের একটি প্রাক-পরীক্ষা দেওয়া হয় যেখানে সৃজনশীল ছোটগল্প লেখার ক্ষেত্রে প্রবাহ, নমনীয়তা ও মৌলিকতা মূল্যায়ন করা হয় <ref name="alf" />। পরীক্ষামূলক গ্রুপের শিক্ষার্থীরা তিন মাসে মোট ২০টি CoRT পাঠ গ্রহণ করে। এর মধ্যে ১০টি ছিল CoRT 1 “Breadth” এবং ১০টি CoRT 4 “Crea tivity” থেকে, অপরদিকে নিয়ন্ত্রণ গ্রুপকে ঐতিহ্যবাহী সৃজনশীল লেখার পাঠ দেওয়া হয়। পরবর্তী পরীক্ষা একই মানদণ্ডে নেওয়া হয় এবং ফলাফল প্রাক-পরীক্ষা ও পরবর্তী পরীক্ষার স্কোরের তুলনা করে বিশ্লেষণ করা হয়। গবেষকেরা দেখতে পান, পরীক্ষামূলক গ্রুপের প্রবাহ, নমনীয়তা ও মৌলিকতা স্কোরে একটি পরিসংখ্যানগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ উন্নতি হয়েছে। এই তিনটি উপাদানেই পরীক্ষামূলক গ্রুপের গড় স্কোর নিয়ন্ত্রণ গ্রুপের তুলনায় বেশি ছিল <ref name="alf" />। এই ফলাফলগুলো নির্দেশ করে CoRT প্রোগ্রামটি রূপক, উপমা ইত্যাদির মতো অলংকারশাস্ত্রীয় কৌশল ব্যবহারের মাধ্যমে, সংলাপের মাধ্যমে চরিত্র বিকাশ এবং জটিল গঠন নিয়ন্ত্রণে শিক্ষার্থীদের সহায়তা করে <ref name="alf" />। লেখার নমনীয়তা ও প্রবাহ যুক্তি প্রদর্শন এবং সমালোচনামূলক চিন্তার চর্চার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। ধারণা উপস্থাপন ও পরিবর্তনের ক্ষমতা বিকাশের মাধ্যমে, শিক্ষার্থীরা এই দক্ষতাগুলো সৃজনশীল লেখালেখি থেকে উচ্চতর জ্ঞানীয় প্রক্রিয়ায়—যেমন সমালোচনামূলক চিন্তা ও যুক্তি প্রদান—পরিবর্তন করতে সক্ষম হয়।
=== ফয়ের্স্টাইন ইনস্ট্রুমেন্টাল এনরিচমেন্ট প্রোগ্রাম (এফআইই) ===
এফআইই একটি বিশেষায়িত প্রোগ্রাম যা মধ্যস্থতাভিত্তিক শিক্ষার অভিজ্ঞতার উপর ভিত্তি করে গড়ে তোলা হয়েছে এবং এর উদ্দেশ্য হলো সমালোচনামূলক চিন্তা ও সমস্যা সমাধান দক্ষতা গড়ে তোলা। মধ্যস্থতা হলো এমন এক শিক্ষণ পদ্ধতি যা শিক্ষার্থী ও মধ্যস্থতাকারীর মধ্যে পারস্পরিক সংলাপের মাধ্যমে ঘটে। ভাইগোৎস্কির “স্ক্যাফোল্ডিং”-এর মতো, এটি শিক্ষার্থী-কেন্দ্রিক এবং চারটি মূল উপাদানের উপর ভিত্তি করে: উদ্দেশ্যমূলকতা, পারস্পরিকতা, পরিপার্শ্বে প্রসারণ এবং অর্থবোধকতা <ref name="kozulin">Kozulin, A. & Presseisen, B.Z. (1995). Mediated Learning Experience and Psychological Tools: Vygotsky’s and Feuerstein’s Perspective in a Study of Student Learning. Educational Psychologist, 30(2), 67-75.</ref>। উদ্দেশ্যমূলকতা বোঝায় মধ্যস্থতা ও সাধারণ পারস্পরিক যোগাযোগের মধ্যে পার্থক্য। এখানে শিক্ষার্থী ও মধ্যস্থতাকারীর মধ্যে একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য থাকে। পারস্পরিকতা বোঝায় শিক্ষার্থী-কেন্দ্রিক মনোভাব। এখানে শিক্ষার্থীর প্রতিক্রিয়াই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, শিক্ষাবিষয়ক ফলাফল নয়। পরিপার্শ্বে প্রসারণ বোঝায় বর্তমান পাঠ ছাড়িয়ে নতুন সংযোগ তৈরি ও প্রয়োগের উৎসাহ প্রদান। অর্থবোধকতা বোঝায় শিক্ষার্থী ও মধ্যস্থতাকারী পরিষ্কারভাবে “কেন” ও “কিসের জন্য” প্রশ্নের উত্তর নির্ধারণ করে। এটি শিক্ষার সময় সংলাপ বাড়ায় <ref name="kozulin" /><ref>Presseisen, B.Z. & Kozulin, A. (1992). Mediated Learning – The Contributions of Vygotsky and Feuerstein in Theory and Practice.</ref>
এই প্রোগ্রামে ব্যবহৃত “ইনস্ট্রুমেন্টগুলো” হলো পেন্সিল-পেপার ভিত্তিক অনুশীলন যা শিক্ষার্থীদের উচ্চতর চিন্তন কৌশল অন্তর্নিহিতভাবে অনুশীলনে সহায়তা করে। এই ইনস্ট্রুমেন্টগুলো বিশ্লেষণাত্মক উপলব্ধি, স্থানগত সংগঠন, শ্রেণীবিন্যাস, তুলনা এবং অন্যান্য অনেক বিষয়ে কাজ করে। বিভিন্ন দেশে এই প্রোগ্রামের প্রয়োগ পদ্ধতি ভিন্ন এবং লক্ষ্যকৃত জনগোষ্ঠীর উপর নির্ভরশীল। একটি সাধারণ প্রোগ্রামে ১৪টি ইউনিট থাকে এবং প্রতি সপ্তাহে কয়েক ঘণ্টার জন্য ৩–৪টি সেশন পরিচালনা করা হয়। এটি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত IE কর্মী ও শিক্ষকরা পরিচালনা করে <ref name="kozulin" />।
=== ফলপ্রসূ চিন্তন কর্মসূচি ===
ফলপ্রসূ চিন্তন কর্মসূচির লক্ষ্য হলো পরিকল্পনা করার দক্ষতা, অনুমান তৈরি ও যাচাই এবং নতুন ধারণা উদ্ভাবন। এটি ১৫টি পাঠে বিভক্ত যা একটি সেমিস্টারে সম্পন্ন করার জন্য তৈরি। প্রোগ্রামের লক্ষ্য গোষ্ঠী হলো উচ্চস্তরের প্রাথমিক শ্রেণির শিক্ষার্থীরা। পাঠগুলো একটি গল্পনির্ভর বইয়ের মাধ্যমে পড়ানো হয়। এখানে শিক্ষার্থীরা একজন গোয়েন্দার ভূমিকায় কাজ করে এবং রহস্য সমাধান করে। একটি নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য শিক্ষার্থীদের একটি কাঠামোবদ্ধ ধাপ অনুসরণ করতে হয় <ref>Schuler, G. (1974). The Effectiveness of the Productive Thinking Program. Paper presented at the Annual Meeting of the American Educational Research Association. Retrieved from: http://www.eric.ed.gov/contentdelivery/servlet/ERICServlet?accno=ED103479.</ref>। পাঠ শেষে অতিরিক্ত সমস্যা দেওয়া হয় যাতে শিক্ষার্থীরা শিখিত দক্ষতা প্রয়োগ করে অনুশীলন করতে পারে <ref name="bruningrh3" />।
=== IDEAL সমস্যা সমাধান পদ্ধতি ===
IDEAL সমস্যা সমাধান পদ্ধতি ৫টি ধাপের একটি কাঠামো যা IDEAL নামের সংক্ষিপ্তরূপে উপস্থাপিত। প্রথমে, (I)dentify: সমস্যা শনাক্ত করা, অর্থাৎ সমস্যাটি কী তা বুঝতে হবে। দ্বিতীয় ধাপ, (D)efine: সমস্যা সংজ্ঞায়িত করা। এখানে পুরো সমস্যাটি পরিষ্কারভাবে বোঝা জরুরি। তৃতীয় ধাপ, (E)xplore: বিকল্পগুলো অন্বেষণ করা, অর্থাৎ সম্ভাব্য সমাধানগুলো বিশ্লেষণ করা। চতুর্থ ধাপ, (A)cting: একটি পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করা। শেষ ধাপ, (L)ooking: ফলাফল পর্যবেক্ষণ করা, অর্থাৎ গৃহীত সমাধানের প্রভাব বিশ্লেষণ করা। IDEAL একটি নমনীয় কাঠামো যা বিভিন্ন বয়স ও দক্ষতার শিক্ষার্থীদের জন্য উপযোগী এবং বিভিন্ন বিষয়ে যেমন রচনা বা পদার্থবিজ্ঞানে প্রয়োগ করা যায় <ref name="bruningrh3" />।
== যুক্তিবাদের নির্দেশনা ==
যুক্তিবাদ নিয়ে গবেষণা শিক্ষা ক্ষেত্রে তুলনামূলকভাবে নতুন একটি ক্ষেত্র হলেও, এটি প্রায় সব ধরনের শিক্ষাব্যবস্থার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং কলেজগুলো এখন শ্রেণিকক্ষে যুক্তিবাদের ব্যবহারে গুরুত্ব দিচ্ছে। কারণ এটি বিশ্বব্যাপী পেশাগত ও শিক্ষামূলক পরিবেশে যোগাযোগ ও বিতর্কের সবচেয়ে কার্যকর উপায় হিসেবে দেখা হচ্ছে।<ref name="cro">Crowell, A., & Kuhn, D. (2014). Developing dialogic argumentation skills: A 3-year intervention study. Journal of Cognition and Development, 15(2), 363-381. doi:10.1080/15248372.2012.725187</ref> ক্রোয়েল এবং কুহন কর্তৃক পরিচালিত একটি দীর্ঘমেয়াদী গবেষণায় দেখা গেছে, শিক্ষার্থীদের যুক্তিবাদী দক্ষতা অর্জনে সবচেয়ে কার্যকর উপায় হলো শ্রেণিকক্ষে ও বাড়ির কাজ হিসেবে ধারাবাহিক ও ঘনঘন যুক্তিবাদের প্রয়োগ।<ref name="cro" /> এই গবেষণার সময় শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন পদ্ধতির মাধ্যমে যুক্তিবাদী দক্ষতা অর্জন করেছে। বন্ধুদের সঙ্গে সহযোগিতা, কম্পিউটার ব্যবহার, আত্মপ্রত্যয়মূলক কার্যকলাপ, ব্যক্তিগত প্রবন্ধ এবং ছোট দলের কাজ—এই সব কৌশল যুক্তিবাদ শেখানোর ক্ষেত্রে মূল্যবান প্রমাণিত হয়েছে, যদিও কোনটি সবচেয়ে কার্যকর তা স্পষ্ট নয়।<ref name="cro" /> গবেষণার তথ্য থেকে দেখা যায়, শিক্ষার্থীরা যেখান থেকে শুরু করেছিল, তাদের আগের যুক্তিবাদী পরীক্ষার ফলাফল যাই হোক না কেন, সকলেই প্রায় সমান মাত্রার যুক্তিবাদী দক্ষতা অর্জন করেছে। এটি প্রমাণ করে, এমনকি যাদের প্রথম দিকে যুক্তিবাদী দক্ষতা নেই বলেই মনে হয়েছে, তারাও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সেই দক্ষতা অর্জন করতে পারে এবং হয়তো তাদের চেয়েও ভালো করতে পারে যারা শুরুতে বেশি নম্বর পেয়েছিল।<ref name="cro" />
=== সংলাপ ও যুক্তিবাদ ===
ক্রোয়েল এবং কুহন (২০১১) এর গবেষণায় দেখা যায়, যৌথ সংলাপভিত্তিক কার্যকলাপ যুক্তিবাদী দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য কার্যকর হস্তক্ষেপ হতে পারে। তারা একটি দীর্ঘমেয়াদী হস্তক্ষেপ চালু করেন। সেখানে একটি মধ্যবিদ্যালয়ের দর্শনের ক্লাসে বিষয়ভিত্তিক চক্র ব্যবহার করে যুক্তিবাদ শেখানো হয়<ref name="crowell">Crowell, A., & Kuhn, D. (2011). Dialogic Argumentation as a Vehicle for Developing Young Adolescents’ Thinking. Psychological Science, 22(4), 545-552. DOI: 10.1177/0956797611402512.</ref>। শিক্ষার্থীরা সপ্তাহে দুই দিন, প্রতি ক্লাসে ৫০ মিনিট করে তিন বছর ধরে ক্লাস করে। এই হস্তক্ষেপ ছিল তিন ধাপে: প্রথমে শিক্ষার্থীদের ছোট ছোট দলে ভাগ করে তাদের যুক্তির একদিকে রাখার মাধ্যমে ধারণা তৈরি করা হয় (“পক্ষে” এবং “বিপক্ষে” দল)। এরপর প্রতিপক্ষের সঙ্গে বৈদ্যুতিক মাধ্যমে যুক্তি তর্কে যুক্ত হয়। সবশেষে পুরো শ্রেণিকক্ষে একত্রে বিতর্কে অংশ নেয়। এই তিনটি ধাপ যথাক্রমে প্রিগেম, গেম এবং এন্ডগেম নামে পরিচিত। হস্তক্ষেপ শেষে শিক্ষার্থীদের একটি প্রবন্ধ লিখতে বলা হয় যার মাধ্যমে তাদের যুক্তিবাদী দক্ষতা মূল্যায়ন করা হয়<ref name="crowell" />। ফলাফল দেখায় যে হস্তক্ষেপপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের মধ্যে দ্বিমুখী দৃষ্টিভঙ্গি ভিত্তিক যুক্তি তৈরির হার বৃদ্ধি পেয়েছে। এই ধরনের যুক্তি প্রদানের জন্য একজনকে নিজের বিপরীত অবস্থান নিতে হয় এবং সেই অনুযায়ী যুক্তি সাজাতে হয়। এই ধরনের যুক্তি উচ্চতর মানসিক প্রক্রিয়া নির্দেশ করে যা বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গিকে বিশ্লেষণ করার সামর্থ্য চায়। এই পরিবর্তনগুলি দ্বিতীয় বছর পর্যন্ত দৃশ্যমান ছিল না এবং তৃতীয় বছরেই তা পরিসংখ্যানগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে প্রমাণিত হয়। এটি নির্দেশ করে যুক্তিবাদী দক্ষতা অন্যান্য নিম্নস্তরের মানসিক দক্ষতার তুলনায় বেশি সময় নিয়ে গড়ে ওঠে<ref name="crowell" />। এই স্বতন্ত্র হস্তক্ষেপ প্রমাণ করে সংলাপভিত্তিক কার্যকলাপের সহযোগিতামূলক দিকটি যুক্তিবাদের জন্য প্রয়োজনীয় মানসিক প্রবণতা গঠনে সহায়তা করে<ref name="crowell" />।
[[চিত্র:Dynamic_roles_during_dialogue.jpg|থাম্ব|যুক্তিবাদ বিকাশে সংলাপভিত্তিক কার্যকলাপ গুরুত্বপূর্ণ। পারিবারিক থেরাপিস্ট ডেভিড ক্যান্টর সংলাপের সময় অংশগ্রহণকারীরা যে চারটি ভিন্ন ভিন্ন ভূমিকা গ্রহণ করেন, তা চিত্রিত করেছেন।]]
আরও গবেষণায় দেখা যায়, সহযোগিতামূলক আলোচনা ও যুক্তিবাদী সংলাপের মাধ্যমে শিক্ষা প্রদান একটি কার্যকর কৌশল<ref name="macagno2" />। যুক্তিবাদের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ধারণা এবং এই ধারণাগুলোর পেছনের মৌলিক চিন্তাধারা অর্জন করতে পারে। যুক্তি তৈরি করতে গেলে শিক্ষার্থীদের গ্রহণযোগ্য সংজ্ঞা বা দাবির মাধ্যমে একটি যুক্তির কাঠামো গড়ে তুলতে হয়। যুক্তিবাদ শিক্ষার্থীদের ভুল ধারণা স্পষ্ট করতে সাহায্য করে এবং তাদের পূর্বজ্ঞান ব্যাখ্যা ও সম্প্রসারণের সুযোগ দেয়। যুক্তিবাদের দুটি প্রধান দিক—সংলাপ এবং কাঠামো—প্রায়শই যুক্তিবাদী দক্ষতার মূল্যায়নে ব্যবহৃত হয়<ref name="macagno2" />। বিশেষ করে শিক্ষার্থী ও বিশেষজ্ঞদের মধ্যকার সংলাপের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের নির্দিষ্ট যুক্তি ও পাল্টা যুক্তি দিতে উৎসাহিত করা যায়। এটি বিশেষজ্ঞের সংলাপগত সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করে<ref name="macagno2" />। এই সহায়ক কাঠামো শিক্ষার্থীকে গভীরভাবে বিশ্লেষণ করতে সহায়তা করে।
যখন শিক্ষার্থী-শিক্ষার্থী এবং শিক্ষার্থী-বিশেষজ্ঞ সংলাপের মধ্যে যুক্তিবাদী আচরণের কনটেন্ট ও কার্যকরী কোডিং বিশ্লেষণ করা হয়, তখন ম্যাকাগ্নো, মেওয়েগ-পাউস ও কুহন (২০১৪) দেখেছেন যে শিক্ষার্থী-বিশেষজ্ঞ সংলাপের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা পরবর্তীতে মূল বিষয়টির গভীরে থাকা বিমূর্ত ধারণা (যেমন নৈতিক নীতিমালা, মূল্যবোধের দ্বন্দ্ব) নিয়ে যুক্তি তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে। এটি শিক্ষার্থী-শিক্ষার্থী সংলাপে দেখা যায়নি<ref name="macagno2" />। বিশেষজ্ঞরা শিক্ষার্থীর যুক্তিকে আক্রমণ করার জন্য আরও নির্দিষ্ট ও জটিল কৌশল ব্যবহার করেন, যেমন সমস্যা সমাধানের বিকল্প উপায় প্রস্তাব করা। এটি পরবর্তী সময়ে শিক্ষার্থীর মেটা-সংলাপে পারফরম্যান্স উন্নত করেছে<ref name="macagno2" />। এই ফলাফল নির্দেশ করে সহযোগিতামূলক কার্যকলাপে যুক্তিবাদের ব্যবহার যুক্তিবাদী দক্ষতা বিকাশে সহায়ক। সমালোচনামূলক চিন্তনের মতো, শিক্ষাদানের পরিবর্তে, ইন্টারঅ্যাকটিভ পরিবেশে অনুশীলনের মাধ্যমে যুক্তিবাদ শেখা আরও কার্যকর হতে পারে।
=== বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদ ===
শ্রেণিকক্ষে যুক্তিবাদের প্রয়োগ নিয়ে অধিকাংশ সাহিত্য বৈজ্ঞানিক বিষয়কেই কেন্দ্র করে লেখা হয়েছে। যুক্তিবাদ বিজ্ঞান শিক্ষায় একটি টুল হিসেবে ব্যবহৃত হয় সমালোচনামূলক চিন্তন উন্নত করতে, ক্লাসে অংশগ্রহণ বাড়াতে এবং বিষয়ের চারপাশে পূর্বজ্ঞান ও বিশ্বাস সক্রিয় করতে<ref name="macagno2" />। বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব ও জ্ঞান ব্যাখ্যা এবং পরিশোধিত করার জন্য বিজ্ঞানীরাও যুক্তিবাদের ওপর নির্ভর করেন<ref name="jonassen2" />। জোনাসেন ও কিম (২০১০) বলেন, বিজ্ঞান শিক্ষকরা প্রায়ই যুক্তিবাদের গুরুত্ব অন্যান্য বিষয়ের চেয়ে বেশি দেন<ref>Jonassen, D.H., & Kim, B. (2010). Arguing to learn ad learning to argue: design justifications and guidelines. Education Technology & Research Development, 58(4), 439-457. DOI 10.1007/s11423-009-9143-8.</ref>। যুক্তিবাদ শিক্ষার্থীদের ভালোভাবে সংগঠিত সমস্যা ও অসংগঠিত সমস্যার সমাধান শিখতে সাহায্য করে। এটি দৈনন্দিন জীবনের সমস্যাগুলোকেও অন্তর্ভুক্ত করে। বিশেষভাবে, অসংগঠিত সমস্যা হচ্ছে এমন সমস্যা যেখানে লক্ষ্য ও সীমাবদ্ধতা স্পষ্ট নয় এবং একাধিক সমাধানের পথ ও মূল্যায়নের মানদণ্ড থাকে<ref name="jonassen2" />।
যুক্তিবাদের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা সমস্যা সমাধানের জন্য সঠিক যুক্তি ও সমালোচনামূলক চিন্তন প্রয়োগ করতে শেখে। উদাহরণস্বরূপ, একটি ভালোভাবে সংগঠিত সমস্যা হতে পারে পদার্থবিজ্ঞানের একটি প্রশ্ন যেখানে নির্দিষ্ট সূত্র ও নিয়ম অনুসরণ করে উত্তর বের করতে হয় অথবা পাঠ্যবইয়ের শেষে থাকা প্রশ্ন যা নির্দিষ্ট তত্ত্বের ওপর ভিত্তি করে সমাধান করতে হয়। অন্যদিকে, একটি অসংগঠিত সমস্যা হতে পারে একজন ব্যক্তির হৃদরোগের কারণ নির্ধারণ করা। এখানে বিভিন্ন জীবনধারা ও শারীরিক কারণ একত্রে কাজ করে এবং হৃদরোগের নানা রূপও বিবেচনা করতে হয়। এই ধরনের সমস্যা সমাধানের জন্য পুষ্টি, মানসিক স্বাস্থ্য ও জিনগত কারণের মতো অন্যান্য ক্ষেত্র থেকেও জ্ঞান প্রয়োগ করতে হয়। যেহেতু এই সমস্যাগুলোর একক কোনো উত্তর নেই, শিক্ষার্থীরা তাদের সমাধানের যুক্তি দিতে পারে<ref name="jonassen2" />। বিজ্ঞান শেখার সময় এমন সমস্যা সমাধানের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা সমালোচনামূলক চিন্তন ব্যবহার করে যুক্তিবাদী দক্ষতা গড়ে তোলে।
একজন ব্যক্তির যুক্তি প্রদানে আগ্রহ এবং দক্ষতা – এই দুইটিই বিজ্ঞানের শিক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে<ref name="bathgate">Bathgate, M., Crowell, A., Schunn, C., Cannady, M., & Dorph, R. (2015). The learning benefits of being willing and able to engage in scientific argumentation. International Journal of Science Education, 37(10), 1590-1612. doi:10.1080/09500693.2015.1045958</ref>। কারণ, বিজ্ঞান নিজেই এক ধরনের যুক্তিবাদী ক্ষেত্র।
[[চিত্র:The_Scientific_Method_as_an_Ongoing_Process.svg|থাম্ব|বিজ্ঞান মূলত যুক্তিবাদভিত্তিক একটি প্রক্রিয়া; বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির মধ্যেই এই যুক্তিক্রম দেখা যায়।]]
যদি শিক্ষার্থীরা অল্প বয়স থেকেই যুক্তিবাদে অংশ নিতে সক্ষম হয়, তবে তাদের বৈজ্ঞানিক বিষয়বস্তুর জ্ঞান অনেক বেশি বৃদ্ধি পেতে পারে। এর প্রধান কারণ হলো যুক্তিবাদী আলাপচারিতা। সেখানে অন্যের সঙ্গে দ্বিমত প্রকাশ করতে পারা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে কিশোর-কিশোরীদের ক্ষেত্রে যাদের সামাজিক আচরণ অত্যন্ত সক্রিয় থাকে (যেমন জুনিয়র থেকে সিনিয়র হাই স্কুল)। এই সামাজিক সক্ষমতা ব্যবহার করাই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এ সময় তারা একে অপরের সঙ্গে দ্বিমত প্রকাশ করতে আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠে। একজন শিক্ষার্থী যখন ক্লাসে অন্য কারও সঙ্গে যুক্তি দেয়, তখন সে তার চিন্তাভাবনা প্রকাশ করতে বাধ্য হয়। এই চিন্তাভাবনার ভাষায় রূপদান শিক্ষার্থীর শেখার জন্য খুবই কার্যকর<ref name="bathgate" />। এটি তাকে তার চিন্তাভাবনা বিশ্লেষণ ও সম্প্রসারণ করতে সাহায্য করে। কারণ তার ধারণাগুলো শ্রেণিতে উপস্থাপন করতে হয়। এছাড়া, এতে করে শিক্ষার্থী নিজের ভুল ধারণাও শনাক্ত করতে পারে। কারণ সহপাঠীরা তার যুক্তির বিরোধিতা করতে পারে<ref name="bathgate" />। এসব উপাদান সমালোচনামূলক চিন্তার অংশ এবং শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য অর্থাৎ ধারণাগত পরিবর্তনে অবদান রাখে। কিশোর-কিশোরীদের সামাজিক আচরণের এই প্রকৃতি বিজ্ঞানে তাদের শিক্ষায় যুক্তিবাদের প্রভাব বিস্তার করতে একটি সুযোগ সৃষ্টি করে<ref name="bathgate" />।
=== যুক্তিবাদ, সমস্যা সমাধান এবং ইতিহাস শিক্ষায় সমালোচনামূলক চিন্তন ===
ইতিহাস শিক্ষা শিক্ষার্থীদের জন্য সমস্যা সমাধান ও সমালোচনামূলক চিন্তনের বিকাশের এক সমৃদ্ধ সুযোগ প্রদান করে এবং মানব অভিজ্ঞতার প্রতি তাদের দৃষ্টিভঙ্গি প্রসারিত করে। ইতিহাস চর্চা একটি জ্ঞানগত ব্যবধান পূরণ করে; বিশেষ করে, এটি বর্তমান দিনের জ্ঞানের সঙ্গে "অসীম, অসংগঠিত এবং অজানা যা কিছু অতীতে ঘটেছে" – তার পার্থক্য দূর করে।<ref name="”S”">Seixas, P., Morton, T., Colyer, J., & Fornazzari, S. (2013). The Big Six: Historical thinking Concepts. Toronto: Nelson Education.</ref> বহুদিন ধরেই ইতিহাস শিক্ষায় সমালোচনামূলক চিন্তন এবং বিশ্লেষণী সমস্যা সমাধানের গুরুত্ব স্বীকৃত। ইতিহাসে দক্ষ হতে হলে শিক্ষার্থীদের বুঝতে ও নির্মাণ করতে হয় যে কিভাবে আমরা অতীত সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করি এবং কিভাবে অতীত ও ইতিহাস নামক জ্ঞানের ভাণ্ডারের মধ্যে সংযোগ তৈরি করি।<ref>Osborne, K. (2013). Forward. Seixas, P., Morton, T., Colyer, J., & Fornazzari, S. The Big Six: Historical thinking Concepts. Toronto: Nelson Education.</ref> দুর্ভাগ্যজনকভাবে, ইতিহাস শিক্ষাকে আজকাল শুধুমাত্র তথ্য মুখস্থ করার বিষয়ে সীমাবদ্ধ করে ফেলা হয়েছে – যেখানে অতিরিক্ত মুখস্থ এবং বহু বিকল্প প্রশ্নভিত্তিক পরীক্ষার উপর নির্ভর করা হচ্ছে। এটি বর্তমান বাস্তবতা থেকে সম্পূর্ণভাবে আলাদা। এই ধরনের পদ্ধতি শিক্ষার্থীদের ইতিহাস বিষয়ে আগ্রহ তৈরি করতে পারে না, এমনকি এটি অতীত ও বর্তমানের সংযোগ বুঝতেও সাহায্য করে না।
অন্যদিকে, বিজ্ঞান ও গণিতের অধ্যয়ন বহু বছর ধরে সমস্যা সমাধানের কার্যকলাপের মাধ্যমে দক্ষতা উন্নয়নের উপর কেন্দ্রীভূত হয়েছে। শিক্ষার্থীরা প্রাথমিক দক্ষতা অর্জন করে এবং ক্রমাগত জটিল সমস্যার একটি অগ্রগতি অনুসরণ করে এই দক্ষতাগুলোকে আরো গভীরভাবে রপ্ত করে। এটিতে তারা বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব এবং গাণিতিক সম্পর্ক সম্পর্কে আরও ভালোভাবে বুঝতে পারে। বিশেষ করে বিজ্ঞান শিক্ষায়, শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞানীদের মতো চিন্তা করতে এবং বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি ব্যবহার করে সমস্যার সমাধান করতে শেখানো হয়। যদি এই পদ্ধতি বিজ্ঞান ও গণিত শিক্ষার ক্ষেত্রে কার্যকর হয়, তবে ইতিহাস শিক্ষায় এটি ব্যবহার করা যাবে না কেন? <ref name="”S”2" />। অতএব, ঐতিহাসিক চিন্তা বিকাশের জন্য শিক্ষকদের পেশাদার ইতিহাসবিদদের দ্বারা ব্যবহৃত কৌশল ও সমস্যা সমাধানের পন্থাগুলো শেখানো প্রয়োজন। তবে, বিজ্ঞান ও গণিতের মতো নয়, ইতিহাসে আমরা যেসব সমস্যার সমাধান করি, সেগুলো প্রায়ই অস্পষ্ট এবং অনেক সময় সুস্পষ্টভাবে অমীমাংসিত থাকে। এটি শিক্ষার্থীদের জন্য এই দক্ষতাগুলি শেখা ও প্রয়োগ করা আরও চ্যালেঞ্জিং করে তোলে। পরবর্তী অংশে এই চ্যালেঞ্জগুলো আলোচনা করা হবে এবং ২০১৩ সালের ''দ্য বিগ সিক্স হিস্ট্রিকাল থিংকিং কনসেপ্ট'' (ছয়টি বড় ঐতিহাসিক চিন্তাভাবনার ধারণা)-র মাধ্যমে ঐতিহাসিক চিন্তা শেখানোর পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করা হবে।
==== ঐতিহাসিক চিন্তা - দ্য বিগ সিক্স ====
বহু বছরের গবেষণা ও সরাসরি শ্রেণিকক্ষ অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে সেক্সাস ও মর্টন (২০১৩) ঐতিহাসিক চিন্তা দক্ষতা বিকাশের জন্য ছয়টি অপরিহার্য যোগ্যতার একটি সেট তৈরি করেন। উপরোক্ত বিজ্ঞান ও গণিত শিক্ষার মতোই, ইতিহাস শিক্ষায় ‘বিগ সিক্স’ পদ্ধতি শিক্ষার্থীদের সহজ কাজ থেকে জটিল কাজের দিকে অগ্রসর হওয়ার সুযোগ দেয়। তদুপরি, এই পদ্ধতির উদ্দেশ্য হলো শিক্ষার্থীদের “সাধারণ উপলব্ধ ধারণার উপর নির্ভরতা থেকে সরে এসে ইতিহাস বোঝার জন্য সংস্কৃতির সবচেয়ে শক্তিশালী বুদ্ধিবৃত্তিক সরঞ্জাম ব্যবহার করা” শেখানো। (পৃষ্ঠা ১) <ref name="”S”2" /> এছাড়াও, বিগ সিক্স ধারণাগুলো শিক্ষার্থীদের দেখায় যে অতীতের ইতিহাস নির্মাণ করতে গেলে কী ধরণের জটিলতার মুখোমুখি হতে হয়। এই ছয়টি দক্ষতার মধ্যে রয়েছে: ঐতিহাসিক গুরুত্ব, প্রমাণ, ধারাবাহিকতা ও পরিবর্তন। কারণ ও পরিণতি, ঐতিহাসিক দৃষ্টিভঙ্গি, এবং নৈতিক মাত্রা।
'''ঐতিহাসিক গুরুত্ব'''
ইতিহাস সম্পর্কে সমালোচনামূলক দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে তুলতে হলে শিক্ষার্থীদের বুঝতে ও সংজ্ঞায়িত করতে হবে কী কারণে একটি ব্যক্তি, ঘটনা, বা সামাজিক পরিবর্তন ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ এবং কেন তাদের এ বিষয়ে সময় ব্যয় করা উচিত। ইতিহাস শিক্ষায় আচরণবাদী পদ্ধতি। সেখানে পাঠ্যপুস্তকই প্রধান তথ্য উৎস, শিক্ষার্থীদের ইতিহাস শেখায় প্যাসিভ বা নিষ্ক্রিয় হয়ে উঠতে। পাঠ্যপুস্তকই যেন নির্ধারণ করে দেয় কী জানতে হবে। উপরন্তু, শুধুমাত্র পাঠ্যপুস্তকের উপর নির্ভর করে জাতীয় ইতিহাস শেখানো “মাস্টার ন্যারেটিভ” তৈরি করতে পারে। এটি শিক্ষার্থীদের দেশের অতীতের বিতর্কিত দিকগুলো জানার সুযোগ সীমিত করে দেয়।<ref name="CA">Carretero, M., & van Alphen, F. (2014). Do Master Narratives Change Among High School Students? A Characterization of How National History Is Represented. Cognition and Instruction, 32(3), 290–312. http://doi.org/10.1080/07370008.2014.919298</ref> পাঠ্যপুস্তক থেকে মনোযোগ সরিয়ে দিলে, শিক্ষার্থীরা ঐতিহাসিকদের মতো করে অতীত বিশ্লেষণের ধাপ অনুসরণ করে সমালোচনামূলক চিন্তা দক্ষতা আরও ভালোভাবে উন্নয়ন করতে পারে এবং “ঐতিহাসিক গুরুত্ব সম্পর্কে যুক্তিসংগত সিদ্ধান্ত” তৈরি করতে পারে। <ref name="”S”2" /> তবে, এমনকি যদি শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক উৎস উপস্থাপন করাও হয়, তবু যদি তাদের শেখানো না হয় কেন এই নির্দিষ্ট প্রমাণ বা বিষয়গুলো নির্বাচন করা হয়েছে এবং কেন এগুলো গুরুত্বপূর্ণ, তাহলে তারা ইতিহাস গঠনে মানবিক প্রেরণার প্রভাব অনুধাবন করতে ব্যর্থ হতে পারে। বিজ্ঞানী যেভাবে “পজিটিভিস্টিক যুক্তিবাদের সংজ্ঞা” ব্যবহার করেন, ঐতিহাসিক চিন্তা তার চেয়ে ভিন্ন; এটি শিক্ষার্থীদেরকে অনুধাবন করাতে হয় তাদের নিজের প্রেরণা, শিক্ষকের বিষয় নির্বাচনের প্রেরণা, এবং অতীতের মানুষের প্রেরণা সম্পর্কে। <ref name="”Freedman2015”">Freedman, E. B. (2015). “What Happened Needs to Be Told”: Fostering Critical Historical Reasoning in the Classroom. Cognition and Instruction, 33(4), 357–398. http://doi.org/10.1080/07370008.2015.1101465</ref>
সেক্সাস ও মর্টন (২০১৩) ঐতিহাসিক গুরুত্ব নির্ধারণের দুটি উপাদান চিহ্নিত করেছেন: “আজকের জীবনে বিদ্যমান বড় ও প্রাসঙ্গিক উদ্বেগ যেমন পরিবেশগত স্থায়িত্ব, ন্যায়বিচার, ক্ষমতা, ও কল্যাণ” এবং “বিশেষ কিছু ঘটনা, বস্তু, ও ব্যক্তিত্ব যাদের ঐতিহাসিক গুরুত্ব নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে” (পৃষ্ঠা ১৬) <ref name="”S”2" /> এই দুটি উপাদানের সংযোগস্থলে ঐতিহাসিক গুরুত্ব নির্ধারিত হয়। এখানে ফ্রিডম্যান (২০১৫)-এর সমালোচনামূলক ঐতিহাসিক যুক্তির সংজ্ঞাটি যুক্ত করা প্রাসঙ্গিক। এটি আমাদের বোঝায় যে ইতিহাস অধ্যয়ন নিরপেক্ষ নয়। ইতিহাসবিদরা “তাদের অনুসন্ধান নির্ধারণ করেন তারা যে প্রশ্ন করেন ও যে তত্ত্ব ব্যবহার করেন তার মাধ্যমে” এবং তাই ইতিহাস শিক্ষার্থীদের “ঐতিহাসিক বর্ণনার সততা ও এর জোর ও উপেক্ষার ধরণ” বিশ্লেষণ করতে হয় (পৃষ্ঠা ৩৬০)। <ref name="”Freedman2015”" /> সমালোচনামূলক ঐতিহাসিক যুক্তি শিক্ষার্থীদের শেখায় তারা যে ফ্রেমটি গ্রহণ করেছে তা সম্পর্কে সচেতন হওয়া এবং এই ফ্রেমের সুবিধা ও সীমাবদ্ধতা বুঝতে পারা (পৃষ্ঠা ৩৬০)। <ref name="”Freedman2015”" /> অতএব, ইতিহাসবিদ ও ইতিহাস শিক্ষার্থীদের উভয়কেই বুঝতে হবে যে ঐতিহাসিক গুরুত্ব আরোপিত হয়, এটি অতীতের কোনো অন্তর্নিহিত গুণ নয়, এবং এটি পরিবর্তনশীল।
'''প্রমাণ'''
সেক্সাস ও মর্টন (২০১৩) বর্ণিত দ্বিতীয় দক্ষতা হলো অতীত সম্পর্কিত প্রশ্নের উত্তরে প্রমাণ ব্যবহার করা। ওয়াইনবার্গ (১৯৯১) একটি গবেষণায় উৎস নথিপত্র বিশ্লেষণে ব্যবহৃত জ্ঞানীয় প্রক্রিয়াগুলো নির্ণয় করেন এবং তিনটি কৌশলের কথা বলেন: প্রতিপাদন (মিলিয়ে দেখা), সোর্সিং (লেখক নির্ধারণ), এবং প্রাসঙ্গিকীকরণ বা প্রেক্ষাপটে স্থাপন। প্রতিপাদন মানে এক উৎসের সঙ্গে অন্যটির তুলনা করা, সোর্সিং মানে উপাত্ত পড়ার আগে লেখককে চিহ্নিত করা, এবং প্রাসঙ্গিকীকরণ মানে প্রমাণকে নির্দিষ্ট সময় ও স্থানে স্থাপন করা (পৃষ্ঠা ৭৭)। <ref name="Wa">Wineburg, S. S. (1991). Historical problem solving: A study of the cognitive processes used in the evaluation of documentary and pictorial evidence. Journal of Educational Psychology, 83(1), 73–87. http://doi.org/10.1037/0022-0663.83.1.73</ref>
এই গবেষণায় ইতিহাসবিদ ও উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে পার্থক্য তুলনা করা হয়। ওয়াইনবার্গ (১৯৯১) দেখান, ইতিহাসবিদরা সফল হয় কারণ তারা কোনো নির্দিষ্ট ঘটনা সম্পর্কে “পরিপ্রেক্ষিতভিত্তিক স্কিমা” তৈরি করে, বিজ্ঞান ও গণিতে ব্যবহৃত সাধারণ স্কিমা প্রসেসিংয়ের বিপরীতে (পৃষ্ঠা ৮৩)। <ref name="Wa" /> এছাড়াও, ইতিহাসবিদরা নথির উৎসের প্রতি শিক্ষার্থীদের চেয়ে বেশি সচেতনতা দেখিয়েছেন। এটি বোঝায় যে শিক্ষার্থীরা লেখকের পরিচয় ও উৎসের নির্ভরযোগ্যতার সম্পর্কটি বুঝতে পারেনি। ওয়াইনবার্গ বলেন, “কোনো বিবরণই মুক্তভাবে বিচ্ছিন্ন নয়, প্রতিটি বিবরণ কোনো সাক্ষীর সঙ্গে যুক্ত, এবং যদি সাক্ষী সন্দেহজনক হয়, তবে তাদের বিবরণও সন্দেহজনক” (পৃষ্ঠা ৮৪)। <ref name="Wa" /> এই গবেষণা দেখায় ইতিহাস নির্মাণে ইতিহাসবিদদের ব্যবহার করা জ্ঞানীয় কৌশল শেখানোর মাধ্যমে ঐতিহাসিক বোঝাপড়া উন্নত করা যেতে পারে।
অতীত সম্পর্কে একাধিক বর্ণনা থাকতে পারে। কারণ প্রত্যেকে তার নিজস্ব মূল্যবোধ ও অভিজ্ঞতা অনুযায়ী ইতিহাস ব্যাখ্যা করে। এটি স্বীকৃতি দিলে শিক্ষার্থীরা সাধারণ ইতিহাসের উপস্থাপনায় সন্তুষ্ট না থেকে একটি সমালোচনামূলক দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করতে পারে। ফ্রিডম্যান (২০১৫)-এর ভিয়েতনাম যুদ্ধ সংক্রান্ত গবেষণায় দেখা যায় যে প্রাথমিক উৎস বিশ্লেষণের মাধ্যমে এবং পাঠ্যপুস্তকের সাথে তুলনা করে শিক্ষার্থীরা বুঝতে পারে তারা কিভাবে ইতিহাস “ফ্রেম” করে। <ref name="”Freedman”">Freedman, E. B. (2015). “What Happened Needs to Be Told”: Fostering Critical Historical Reasoning in the Classroom. Cognition and Instruction, 33(4), 357–398. http://doi.org/10.1080/07370008.2015.1101465</ref> শিক্ষার্থীদের যদি প্রমাণভিত্তিক ব্যাখ্যা তৈরি করার স্বাধীনতা দেওয়া হয়, তাহলে ইতিহাসকে একটি স্থির জ্ঞানভান্ডার হিসেবে না দেখে তারা এটি বিশ্লেষণমূলকভাবে চিন্তা করতে শিখবে।
'''ধারাবাহিকতা ও পরিবর্তন'''
ধারাবাহিকতা ও পরিবর্তনের ধারণা গড়ে তুলতে হলে শিক্ষার্থীদের বুঝতে হবে ইতিহাসের ধারাবাহিকতায় এই দুটি উপাদান একসঙ্গে থাকে; কিছু জিনিস পরিবর্তিত হয়, আবার কিছু একই রকম থাকে। শিক্ষার্থীরা যদি নিজেদের জীবনে এই দুটি উপাদান চিহ্নিত করতে পারে, তাহলে তারা ইতিহাস অধ্যয়নে তা প্রয়োগ করতে পারবে। <ref name="S">Seixas, P., Morton, T., Colyer, J., & Fornazzari, S. (2013). The Big Six: Historical thinking Concepts. Toronto: Nelson Education.</ref> শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করা উচিত ইতিহাসের পরিবর্তনের গতি ও গভীরতা ব্যাখ্যা করতে এবং এটি অগ্রগতি না পতনের নিদর্শন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে।<ref name="S" /> ইতিহাসের পরিবর্তন ইতিবাচক না নেতিবাচক তা মূল্যায়ন সম্পূর্ণরূপে দর্শকের দৃষ্টিভঙ্গির উপর নির্ভর করে।
একটি উদাহরণ হলো সংস্কৃতি ও জাতীয় পরিচয়ের ধারাবাহিকতা। ক্যারেটেরো ও ভ্যান আলফেন (২০১৪) আর্জেন্টিনার উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে “মাস্টার ন্যারেটিভ” বিশ্লেষণ করে দেখান কিভাবে পরিচয় ইতিহাস শিক্ষায় সহায়ক হলেও অতীত ও বর্তমান গুলিয়ে ফেলতে পারে, যেমন বিজয়ী যুদ্ধ বা বিপ্লবের ক্ষেত্রে “আমরা” শব্দ ব্যবহার করা যা একটি জাতি গঠনে ভূমিকা রেখেছে (পৃষ্ঠা ৩০৮-৩০৯)। <ref name="CA" /> তাই শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সময় পর্ব চিহ্নিত করতে শেখানো জরুরি। তবে, '''ইতিহাসের পর্যায় বিভাজন''' নিজেই একটি ব্যাখ্যামূলক কাজ এবং এটি ইতিহাসবিদদের করা প্রশ্নের উপর নির্ভর করে। <ref name="S" />
শিক্ষায় প্রযুক্তির ব্যবহার, যেমন ইন্টারঅ্যাকটিভ টাইমলাইন, ইতিহাসভিত্তিক গেমস এবং অনলাইন আলোচনা, শিক্ষার্থীদের অতীত ও বর্তমানের মধ্যে সংযোগ গড়ে তুলতে সাহায্য করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, কানাডার মেডিকেয়ার বিষয়ে সভ্যতার জাদুঘর একটি ইন্টারঅ্যাকটিভ শিক্ষণ সরঞ্জাম সরবরাহ করে (http://www.museedelhistoire.ca/cmc/exhibitions/hist/medicare/medic01e.shtml)। ইন্টারঅ্যাকটিভ টাইমলাইন শিক্ষার্থীদের ধারাবাহিকতা, পরিবর্তন। কারণ ও পরিণতির মধ্যে সংযোগ দেখতে সহায়তা করে। এছাড়াও, শক্তিশালী অনুসন্ধানমূলক প্রশ্নের মাধ্যমে টাইমলাইনের নির্দেশনা দিলে শিক্ষার্থীদের বোঝাপড়া আরও গভীর হতে পারে এবং ঐতিহাসিক চিন্তা দক্ষতা বিকাশে সহায়তা করে।
উদাহরণস্বরূপ, ইউরোপীয় রেনেসাঁ সম্পর্কে একটি অনুসন্ধান নিম্নোক্ত প্রশ্ন দ্বারা পরিচালিত হতে পারে: “ইউরোপের সকলেই কি রেনেসাঁকে একইভাবে অভিজ্ঞতা করেছে?” এই ধরনের প্রশ্ন খোলা-প্রান্তিক হয় যাতে শিক্ষার্থীদের অনুসন্ধানকে নির্দিষ্ট পথে সীমাবদ্ধ না করে, বরং রেনেসাঁর পরিবর্তন এবং ইউরোপীয় সমাজের ধারাবাহিকতার মধ্যে একটি সম্পর্ক নির্দেশ করে। ঐতিহাসিক চিন্তাকে সহায়তা করার জন্য শিক্ষাগত প্রযুক্তির অন্যান্য উদাহরণগুলোর মধ্যে “''ওয়ার্ল্ড হিস্ট্রি ফর অল অফ আস''” (''আমাদের সকলের জন্য বিশ্ব ইতিহাস'' ''-'' [http://worldhistoryforusall.sdsu.edu/ http://worldhistoryforusall.এসডিsu.edu/]) প্রকল্প অন্তর্ভুক্ত। এই ওয়েবসাইটটি বিশ্ব ইতিহাসের ইউনিটগুলোকে বৃহৎ পরিসর এবং স্থানীয় পর্যায়ে ভাগ করেছে এবং তা ঐতিহাসিক সময়কাল অনুসারে সংগঠিত। পাঠ পরিকল্পনা এবং সংস্থানগুলো শিক্ষার্থীদের স্থানীয় ইস্যু ও বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটের মধ্যে সংযোগ স্থাপনে সহায়তা করতে পারে। এটি বিশ্ব ইতিহাসকে প্রভাবিত করে। অবশেষে, ব্ল্যাকেনশিপ (২০০৯) এর একটি কেস স্টাডি প্রস্তাব করে অনলাইন আলোচনা গোষ্ঠীগুলি সমালোচনামূলক চিন্তন বিকাশে উপকারী। কারণ এগুলোর মাধ্যমে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের চিন্তার প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করতে পারেন এবং ফলস্বরূপ, গঠনমূলক মূল্যায়ন ও প্রয়োজনীয় শিক্ষণ হস্তক্ষেপের ধরন নির্ধারণে সহায়তা পান। ব্ল্যাকেনশিপ (২০০৯) আরও গবেষণার উল্লেখ করেন যা অনলাইন আলোচনার পক্ষে যুক্তি দেয়। কারণ এতে শিক্ষার্থীরা আলোচনার আগে তাদের চিন্তা সংগঠিত করতে পারে; এতে তাদের পূর্ববর্তী জ্ঞান কাজে লাগাতে এবং নিজের ধারণা বিবেচনা করার জন্য বেশি সময় পাওয়া যায়। <ref>Blackenship, W. (2009). Making connections: Using online discussion forums to engage students in historical inquiry. Social Education, 73(3), 127-130.</ref>
'''কারণ ও পরিণতি'''
ঐতিহাসিক চিন্তার দক্ষতা হিসেবে কারণ ও পরিণতির ধারণা শিক্ষার্থীদেরকে ঐতিহাসিক ঘটনাবলীর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কারণ এবং তার তাৎক্ষণিক ও দীর্ঘমেয়াদি পরিণতি চিহ্নিত করতে পারার দক্ষতা অর্জনে সহায়তা করে। ঐতিহাসিক পরিবর্তনের কারণগুলি বোঝার জন্য ব্যক্তির কর্মকাণ্ড ও সেই সময়ের প্রচলিত পরিস্থিতি উভয়কেই স্বীকৃতি দেওয়া প্রয়োজন। ঐতিহাসিক চিন্তা শিক্ষার্থীদেরকে সরল, তাৎক্ষণিক কারণের বাইরে গিয়ে ইতিহাসকে “পারস্পরিকভাবে সংযুক্ত কারণ ও পরিণতির একটি জাল” হিসেবে ভাবতে শেখায়। এটির প্রতিটির উপর বিভিন্ন প্রভাব রয়েছে (পৃষ্ঠা ১১০)। <ref name="S2" /> অতীতকে আরও ভালভাবে বোঝার পাশাপাশি, এই দক্ষতাগুলি শিক্ষার্থীদের বর্তমানের দ্বন্দ্ব ও সমস্যাগুলো বোঝতেও সহায়তা করতে পারে। শ্রেইনার (২০১৪) নবীন/বিশেষজ্ঞ বিন্যাস ব্যবহার করে যাচাই করেন কীভাবে মানুষ ইতিহাসের জ্ঞান ব্যবহার করে বর্তমান ঘটনার বিষয়ে যুক্তিসঙ্গত সিদ্ধান্তে পৌঁছায়। উপরে উল্লিখিত ওয়াইনবার্গ (১৯৯১) গবেষণার অনুরূপভাবে, শ্রেইনার (২০১৪) দেখতে পান যে বিশেষজ্ঞরা প্রেক্ষাপট স্থাপন এবং উৎস বিশ্লেষণে বেশি দক্ষ। এটি তাদেরকে দলিলের নির্ভরযোগ্যতা ও ব্যবহারিকতা যাচাই করে যুক্তিসঙ্গত রায়ে পৌঁছাতে সাহায্য করে। এছাড়াও, গবেষণায় দেখা যায় যে শিক্ষার্থীরা অর্থ নির্মাণে বর্ণনা ব্যবহার করে, তবে তারা সাধারণত “স্কিমেটিক ন্যারেটিভ টেমপ্লেট” তৈরি করে। এটি অতীত সম্পর্কে সাধারণ বিবৃতি দেয় কিন্তু নির্দিষ্ট তথ্য ও ঘটনা থাকে না। <ref>Shreiner, T. L. (2014). Using Historical Knowledge to Reason About Contemporary Political Issues: An Expert–Novice Study. Cognition and Instruction, 32(4), 313–352. http://doi.org/10.1080/07370008.2014.948680</ref> সেইক্সাস ও মর্টন (২০১৩) অতিসরলেখ টাইমলাইন ব্যবহারে সাবধান করে দেন কারণ এতে ইতিহাসকে বিচ্ছিন্ন ঘটনাবলীর একটি তালিকা মনে হতে পারে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ঐতিহাসিক বর্ণনা যা সময়কালভিত্তিক এবং কারণ-পরিণতি সম্পর্কযুক্ত, সেইসাথে সময়ের সাথে পরিবর্তন অন্তর্ভুক্ত করে, তা বর্তমান ইস্যু বোঝার জন্য সহায়ক।<ref name="S2" /> সুতরাং, শিক্ষকদের উচিত শিক্ষার্থীদের মধ্যে এই দক্ষতাগুলির বিকাশ ঘটানো। ঐতিহাসিক পরিবর্তনের মতোই, ইতিহাসের কিছু কর্মকাণ্ডের পরিণতি বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি অনুযায়ী ইতিবাচক বা নেতিবাচক হিসেবে দেখা যেতে পারে। এটি নিচে আরও বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হবে।
'''ঐতিহাসিক দৃষ্টিভঙ্গি ও নৈতিকতা'''
সেইক্সাস ও মর্টনের প্রস্তাবিত চূড়ান্ত দুটি ঐতিহাসিক চিন্তার দক্ষতা হলো ঐতিহাসিক দৃষ্টিভঙ্গি ও নৈতিকতা। ঐতিহাসিক দৃষ্টিভঙ্গি বলতে ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট বিশ্লেষণ বোঝায়। এটি একটি ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্বকে কোনো ঘটনা বা কর্মকাণ্ড নির্দিষ্টভাবে দেখাতে বা কাজ করতে প্রভাবিত করে। এতে অন্তর্ভুক্ত হতে পারে ধর্মীয় বিশ্বাস, সামাজিক অবস্থান, ভৌগোলিক অবস্থান, সময়কাল, প্রচলিত অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং সামাজিক/সাংস্কৃতিক অবস্থা। এখানে প্রমাণ ব্যাখ্যার প্রয়োজন হয় কারণ প্রায়শই আমাদের কাছে এমন তথ্য থাকে না যা সরাসরি কোনো ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্বের মনোভাব বা কার্যকারণের কারণ ব্যাখ্যা করে। প্রাথমিক উৎস দলিল, যেমন চিঠি বা ডায়েরি, কিছুটা ধারণা দিতে পারে, কিন্তু তবুও ঐতিহাসিকদেরকে তথ্যগুলো ব্যাখ্যা করে তা বৃহত্তর ঐতিহাসিক বর্ণনা বা কোনো ব্যক্তির জীবনীচিত্রে সংযুক্ত করতে হয়। পাশাপাশি, “কঠোর পরিসংখ্যান, যেমন জন্ম ও মৃত্যুহার, বিবাহের গড় বয়স, সাক্ষরতার হার, এবং পরিবারের আকার... এগুলো আমাদের মানুষের অভিজ্ঞতা, চিন্তা ও অনুভূতি সম্পর্কে ধারণা করতে সহায়তা করে” (পৃষ্ঠা ১৪৩)। <ref name="S2" /> অবশ্যই, অতীত সম্পর্কে আমাদের অনুমান করার সীমাবদ্ধতা রয়েছে; তবে সেইক্সাস ও মর্টন (২০১৩) প্রস্তাব করেন, অতীত সম্পর্কে আমরা কী জানি না, তা স্বীকার করাও “সুস্থ ঐতিহাসিক চিন্তার” অংশ (পৃষ্ঠা ১৪৩)। <ref name="S2" /> শিক্ষার্থীরা অতীত ও বর্তমান জীবনধারা ও দৃষ্টিভঙ্গির পার্থক্য পর্যবেক্ষণ করে, যেসব মানবিক বৈশিষ্ট্য সময় অতিক্রম করে বিদ্যমান থাকে (যেমন সন্তানের প্রতি ভালোবাসা), তা চিহ্নিত করে এবং '''বর্তমানতাবাদ''' ও '''কালগত ভুল''' এড়িয়ে ঐতিহাসিক দৃষ্টিভঙ্গি অনুশীলন করতে পারে। <ref name="S2" /> ঐতিহাসিক দৃষ্টিভঙ্গির গভীরতর বোঝাপড়া শিক্ষার্থীদের সহায়তা করবে যখন তারা বিরোধপূর্ণ ঐতিহাসিক ব্যাখ্যার মুখোমুখি হবে। কারণ তারা দেখতে পারবে ঐতিহাসিক ব্যক্তিরা কোন প্রেক্ষাপট থেকে এসেছে এবং সে অনুযায়ী তাদের কর্মকাণ্ড বুঝতে পারবে। ঐতিহাসিক দৃষ্টিভঙ্গি ও নৈতিকতা একে অপরের সাথে সম্পর্কযুক্ত। সেইক্সাস ও মর্টন (২০১৩) যুক্তি দেন, “ঐতিহাসিক চিন্তার নৈতিক মাত্রা ইতিহাস অধ্যয়নে অর্থ প্রদান করে” (পৃষ্ঠা ১৭০)। <ref name="S2" /> কোনো ব্যক্তির কর্মকাণ্ডের নৈতিক কারণ বোঝার জন্য আমাদের ঐতিহাসিক, ভৌগোলিক ও সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপটের প্রভাব বুঝতে হয়। পাশাপাশি, অতীতের নৈতিক পরিণতি বোঝার জন্য আমাদের নৈতিক মূল্যায়ন করতে হয়। এটি “সহানুভূতিশীল বোঝাপড়া [চাই]; তাদের ও আমাদের নৈতিক জগতের পার্থক্য বোঝা” (সিক্সাস এবং পেক, ২০০৪, পৃষ্ঠা ১১৩)। <ref>Seixas, P., & Peck, C. (2004). Teaching Historical Thinking. Challenges and Prospects for Canadian Social Studies, 109–117.</ref> ঐতিহাসিক চিন্তার অভিজ্ঞতা কম থাকলে শিক্ষার্থীরা বর্তমান সমাজের নৈতিক মানদণ্ড থেকে অতীতকে আলাদা করে ভাবতে পারে না। এছাড়াও, শিক্ষার্থীরা প্রায়শই অন্যান্য সংস্কৃতিকে নিজেদের সংস্কৃতির তুলনায় বেশি সমালোচনামূলক দৃষ্টিতে দেখে; অনেক সময় নিজেদের জাতির কর্মকাণ্ডকে সমর্থন বা যৌক্তিকতা দেয়। <ref name="L">Lopez, C., Carretero, M., & Rodriguez-Moneo, M. (2014). Telling a national narrative that is not your own. Does it enable critical historical consumption? Culture & Psychology , 20 (4 ), 547–571. http://doi.org/10.1177/1354067X14554156</ref> তাই, লোপেজ, কারেতেরো এবং রদ্রিগেজ-মোনেও (২০১৪) প্রস্তাব করেন, শিক্ষার্থীদের নিজেদের দেশের বাইরে অন্য জাতির জাতীয় বর্ণনা বিশ্লেষণে ব্যবহার করলে সমালোচনামূলক ঐতিহাসিক চিন্তা আরও কার্যকরভাবে বিকাশ লাভ করে। যখন শিক্ষার্থীরা অতীতের নৈতিক সিদ্ধান্ত বিশ্লেষণে দক্ষ হয়, তখন তারা এই দক্ষতা বর্তমান সময়ের নৈতিক প্রশ্ন বিশ্লেষণে প্রয়োগ করতে পারে। ভূমিকাভিত্তিক অভিনয় ঐতিহাসিক দৃষ্টিভঙ্গি শেখানোর একটি কার্যকর শিক্ষণ কৌশল। ঐতিহ্যগত, সামনাসামনি শ্রেণিকক্ষে নাট্যভিত্তিক ভূমিকা পালন, বিতর্ক এবং মক ট্রায়াল পরিচালনা করা যায় যেখানে শিক্ষার্থীরা ইতিহাসের কোনো ব্যক্তি বা সামাজিক গোষ্ঠীর ভূমিকায় অভিনয় করতে পারে। এছাড়াও, শিক্ষামূলক গেম এবং ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এই কৌশলের সাথে প্রযুক্তির একত্রীকরণ করা যায়। হুইটওয়ার্থ ও বারসন (২০০৩) দেখতে পান যে ১৯৯০-২০০০ এর দশকে সামাজিক বিজ্ঞানের শ্রেণিকক্ষে প্রযুক্তি মূলত ইন্টারনেটকে শ্রেণিকক্ষে ব্যবহৃত উপকরণের ডিজিটাল সংস্করণ হিসেবে ব্যবহারে সীমাবদ্ধ ছিল। তারা প্রস্তাব করেন, প্রযুক্তির বিকল্প ব্যবহার—যেমন অনুসন্ধানভিত্তিক ওয়েবকোয়েস্ট, সিমুলেশন, এবং সহযোগিতামূলক কর্মপরিবেশ—শিক্ষার্থীদের মধ্যে পারস্পরিক যোগাযোগ ও সমালোচনামূলক চিন্তন দক্ষতা বাড়ায়। <ref>Whitworth, S. A., & Berson, M. J. (2003). Computer technology in the social studies: An examination of the effectiveness literature (1996-2001). Contemporary Issues in Technology and Teacher Education [Online serial], 2(4). Retrieved from http://www.citejournal.org/volume-2/issue-4-02/social-studies/computer-technology-in-the-social-studies-an-examination-of-the-effectiveness-literature-1996-2001</ref> ভূমিকা-ভিত্তিক চিন্তা উন্নয়নে সহায়ক শিক্ষণ উপকরণের একটি উদাহরণ হলো মুসে-ম্যাককর্ড-এর অনলাইন গেম সংগ্রহ (http://www.mccord-museum.qc.ca/en/keys/games/)। বিশেষভাবে, ভিক্টোরিয়ান যুগ এবং গর্জে ওঠা বিশের দশকের গেমগুলো শিক্ষার্থীদের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে উপযুক্ত সিদ্ধান্ত নিতে এবং সেই সময়কাল অতিক্রম করতে সহায়তা করে। এই গেমগুলো জাদুঘরের সংশ্লিষ্ট সংস্থানগুলোর সাথে সংযুক্ত। এটি শিক্ষার্থীদের ঐতিহাসিক সময়কাল সম্পর্কে গভীরতর বোঝাপড়া গড়ে তুলতে পারে। ইতিহাসের নৈতিক উপাদান শেখাতে ঐতিহাসিক বর্ণনা, ঐতিহাসিক ঘটনাবলীর উপর নৈতিক অবস্থান নিয়ে বিতর্ক এবং গৌণ তথ্যসূত্র বিশ্লেষণের কৌশল ব্যবহার করা যেতে পারে।
সারাংশে, পেশাদার ঐতিহাসিকদের ইতিহাস অধ্যয়নের কৌশল শিক্ষার্থীদের মধ্যে ঐতিহাসিক চিন্তা উন্নয়নে সহায়ক বলে বিবেচিত হয়। পেশাদার ঐতিহাসিকদের প্রমাণ মিলিয়ে দেখা, উৎস বিশ্লেষণ, এবং ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট প্রতিষ্ঠার মত জ্ঞানীয় প্রক্রিয়াগুলি সেইক্সাস ও মর্টনের ''দ্য বিগ সিক্স হিস্ট্রিকাল থিংকিং কনসেপ্ট'' (''ছয়টি বড় ঐতিহাসিক চিন্তাভাবনার ধারণা'' - ২০১৩)-এ প্রতিফলিত হয়েছে। ঐতিহাসিক চিন্তা শিক্ষার্থীদের সমস্যা সমাধানের দক্ষতা দেয়। এটি তাদের অতীত বোঝার পাশাপাশি বর্তমানের সাথে যুক্ত করে, তাদের দৃষ্টিভঙ্গিকে প্রসারিত করে, প্রচলিত সামাজিক অবস্থাগুলো উপলব্ধি করতে এবং পৃথিবীর সাথে তাদের সম্পর্ক গঠনে প্রভাব ফেলে। ঐতিহাসিক চিন্তা প্রকল্পের ওয়েবপেজ (http://historicalthinking.ca/lessons) এ সমস্ত ঐতিহাসিক দক্ষতার জন্য শিক্ষণ কৌশল দেখা যাবে।
== অ্যাকাডেমিক বিতর্কের মাধ্যমে শিক্ষা ==
''[[চিন্তন ও নির্দেশনা/সমস্যা সমাধান, সমালোচনামূলক চিন্তন ও যুক্তি#শব্দকোষ অ্যাকাডেমিক বিতর্ক|অ্যাকাডেমিক বিতর্কের]]'' পদ্ধতি ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের বিতর্ক ও সমালোচনামূলক চিন্তার দক্ষতা শেখানো একটি কার্যকর উপায় হতে পারে। অ্যাকাডেমিক বিতর্কে চারজনের একটি সহযোগিতামূলক দলকে দুটি জোড়ায় ভাগ করে একটি বিতর্ক বা বিষয়ে বিপরীত অবস্থান দেওয়া হয়, এরপর উভয় জোড়া তাদের নির্ধারিত অবস্থানের পক্ষে যুক্তি দেয়। তারপর তারা তাদের অবস্থান পরিবর্তন করে আবার যুক্তি উপস্থাপন করে, এবং অবশেষে, চারজনের দলটি মিলে একটি সর্বজনীন সমাধানে পৌঁছায় <ref>Johnson, D. W., & Johnson, R. T. (1993). Creative and critical thinking through academic controversy. The American Behavioral Scientist, 37(1), 40-53. Retrieved from https://www.proquest.com/docview/1306753602</ref>। এই কার্যক্রম বিতর্ক ও সমালোচনামূলক চিন্তার উভয় দিক শেখাতে কার্যকর হতে পারে, যদিও এটি কিছুটা পুরনো হতে পারে। কার্যক্রমটি স্বভাবতই বিতর্কমূলক। কারণ শিক্ষার্থীদের দুটি ভিন্ন অবস্থানের জন্য যুক্তি ও দাবির উদ্ভাবন করতে হয়। এই ভারসাম্য বিতর্কের প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটি শিক্ষার্থীদের তাদের নিজস্ব যুক্তি ও বিপক্ষের যুক্তি মূল্যায়নের সুযোগ দেয়। এটি যেকোনো বিতর্কে উপকারী হতে পারে। এছাড়াও, এই কার্যক্রম শিক্ষার্থীদের সমালোচনামূলক চিন্তার কয়েকটি দিক যেমন মূল্যায়ন, যুক্তিবোধ, এবং আত্মপর্যালোচনার সাথে যুক্ত করে। কারণ শিক্ষার্থীদের একটি সমন্বিত সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে হয়। এটি তাদের বিশ্লেষণাত্মক ও উদার মানসিকতা চর্চা করতে বাধ্য করে। এই কার্যক্রম শিক্ষার্থীদের উন্মুক্ত মন ও বিশ্লেষণাত্মক বিতর্কে অংশগ্রহণে উৎসাহিত করে। এটি সমালোচনামূলক চিন্তা ও বিতর্ক দক্ষতা বৃদ্ধিতে সহায়ক।
= শব্দকোষ =
; অ্যাকাডেমিক বিতর্ক
: একটি দ্বি-রাউন্ড বিতর্ক প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে ৪ জনের একটি সমবায় গ্রুপ বিরোধী জোড়ায় বিভক্ত হয় যা একটি বিতর্কে জড়িত। প্রতিটি জুটি তাদের নিজস্ব অবস্থানের জন্য যুক্তি দেয় এবং পরবর্তী রাউন্ডে বিরোধী অবস্থানে স্যুইচ করে।
; অ্যালগরিদম
: পদ্ধতিগুলো নির্দিষ্ট সমস্যাগুলোতে প্রয়োগ করা যেতে পারে যা সঠিকভাবে কার্যকর করা হলে সঠিক উত্তরের নিশ্চয়তা দেয়।
; অ্যানাক্রোনিজম
: এক সময়কালের বৈশিষ্ট্য বা ঘটনাকে অন্য সময়কালের জন্য দায়ী করা।
; বিশ্লেষণ
: আরও অনুমান এবং ব্যাখ্যার অনুমতি দেওয়ার জন্য প্রাসঙ্গিক তথ্য সনাক্তকরণ এবং নির্বাচন।
; যুক্তিতর্ক
: কোনও দাবি বা ধারণাকে সমর্থন বা খণ্ডন করার জন্য যুক্তি ব্যবহার করার প্রক্রিয়া।
; ক্রিটিক্যাল থিংকিং
: তথ্য ওজন, মূল্যায়ন এবং বোঝার সমন্বয়ে একটি প্রতিফলিত চিন্তাভাবনা
; ছাড়
: এক ধরণের যুক্তি যেখানে সাধারণ থেকে নির্দিষ্ট সিদ্ধান্তগুলো তৈরি করা হয়, প্রদত্ত তথ্য
; বর্ণনামূলক মডেল
: একটি নির্দেশমূলক পদ্ধতি যা ব্যাখ্যা করে কীভাবে ভাল চিন্তাভাবনা ঘটে।
; নকশা চিন্তাভাবনা
: শিক্ষার্থী কেন্দ্রিক শিক্ষা একটি বাস্তব-বিশ্বের সমস্যার সমাধান খুঁজে বের করার সাথে জড়িত।
; সরাসরি নির্দেশনা
: একটি গাইডেড লার্নিং পদ্ধতি যা সরাসরি জ্ঞানীয় দক্ষতা শেখায় এবং জ্ঞান স্পষ্টভাবে শিক্ষক থেকে শিক্ষার্থীর কাছে প্রেরণ করা জড়িত।
; স্বভাব [সমালোচনামূলক চিন্তার জন্য]
: বুদ্ধিবৃত্তিক আচরণে জড়িত হওয়ার জন্য একটি ঝোঁক, এই ধরনের আচরণগুলো জড়িত হতে পারে এমন সুযোগগুলোর প্রতি সংবেদনশীলতা এবং সমালোচনামূলক চিন্তনয় জড়িত হওয়ার জন্য একটি সাধারণ ক্ষমতা সহ সচেতনভাবে একটি দক্ষতা চয়ন করার ক্ষমতা।
; ডাইভারজেন্ট থিংকিং
: একাধিক এবং বৈচিত্র্যময় সমাধানের প্রজন্ম এবং পরীক্ষার দ্বারা চিহ্নিত চিন্তাভাবনা।
; ডোমেন নির্দিষ্ট জ্ঞান
: একটি বিশেষ এলাকা বা ক্ষেত্রের জ্ঞান।
; জ্ঞানতাত্ত্বিক বিশ্বাস
: প্রকৃতি ও জ্ঞান অর্জন সম্পর্কে বিশ্বাস।
; মূল্যায়ন
: বিশ্লেষণ, বিচার এবং ওজন করার উপ দক্ষতার জন্য একটি ছাতা শব্দ
; কার্যকরী স্থিরতা
: একটি পক্ষপাত যা কোনও ব্যক্তিকে কেবলমাত্র দৈনন্দিন জীবনে যেভাবে ব্যবহৃত হয় সেভাবে কোনও বস্তু ব্যবহার করতে সীমাবদ্ধ করে।
; অসুস্থ-সংজ্ঞায়িত সমস্যা
: যে সমস্যাগুলোর একটি সুস্পষ্ট লক্ষ্য, সমাধানের পথ বা প্রত্যাশিত উত্তর নেই।
; পরোক্ষ নির্দেশনা
: শিক্ষার্থী কীভাবে শেখানো উপাদানকে ব্যাখ্যা করে তার উপর জোর দিয়ে উপাদানগুলোর শিক্ষার্থী-ভিত্তিক নির্দেশনা
; আনয়ন
: এক ধরণের যুক্তি যেখানে নির্দিষ্ট তথ্য থেকে সাধারণ সিদ্ধান্তে আসা হয়
; অনুমান
: জ্ঞানের দুটি ইউনিটের মধ্যে এক ধরণের সংযোগ বা সমিতি
; অনুসন্ধান ভিত্তিক নির্দেশনা
: ন্যূনতম নির্দেশিত শিক্ষার একটি ফর্ম যা শিক্ষার্থীদের উপকরণগুলোর নিজস্ব বোঝার তৈরি করতে দেয়।
; জ্ঞান
: একজনের কাছে যে তথ্য রয়েছে, এর মধ্যে পরিচিত তথ্যের মধ্যে সংযোগ এবং সমিতি অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে
; মেটাকগনিশন
: জ্ঞান মানুষের নিজস্ব চিন্তা সম্পর্কে থাকে।
; পর্যায়ক্রম
: অতীতকে সময়ের স্বতন্ত্র ব্লকে শ্রেণিবদ্ধ করা (সময়কাল)।
; প্রেসক্রিপশন মডেল
: একটি নির্দেশমূলক পদ্ধতি যা ভাল চিন্তাভাবনার মানদণ্ড এবং বৈশিষ্ট্যগুলো ব্যাখ্যা করে
; উপস্থাপনবাদ
: বর্তমান সময়ের মূল্যবোধ এবং ধারণাগুলো ব্যবহার করে অতীতের ঘটনাগুলো ব্যাখ্যা করার প্রবণতা।
; সমস্যা ভিত্তিক শিক্ষা
: একটি ছাত্র-কেন্দ্রিক পদ্ধতি যেখানে শিক্ষার্থীরা একটি উন্মুক্ত সমস্যা বা প্রশ্ন সমাধানের অভিজ্ঞতার মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট বিষয় সম্পর্কে শিখতে পারে।
; সমস্যা উপস্থাপনা
: সমস্যা সমাধানকারীদের সমস্যাটি আরও ভালভাবে কল্পনা করার অনুমতি দেয় এবং এইভাবে তাদের সমাধানে পৌঁছাতে সহায়তা করে।
; সমস্যা সমাধান
: কগনিটিভ প্রসেসিং 'একটি লক্ষ্য অর্জনের জন্য ব্যবহৃত হয় যখন সমাধানকারীর কাছে কোনও সমাধান স্পষ্ট হয় না।
; উৎপাদন
: তর্কের প্রজন্ম
; প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা
: একটি ছাত্র-কেন্দ্রিক পদ্ধতি যেখানে শিক্ষার্থী একটি নির্দিষ্ট নকশা প্রক্রিয়ার মাধ্যমে একটি জটিল চ্যালেঞ্জের প্রতিক্রিয়া জানায়।
; স্ব-নিয়ন্ত্রণ
: নিজের শেখার ক্ষেত্রে মেটাকগনিটিভ, আচরণগতভাবে এবং অনুপ্রেরণামূলকভাবে সক্রিয় হওয়ার প্রক্রিয়া
; দক্ষতা কর্মসূচী
: সমস্যা সমাধানের মতো বিকল্প শিক্ষণ পদ্ধতির মাধ্যমে সিটি দক্ষতার বিকাশের সুবিধার্থে নকশা করা শিক্ষামূলক পাঠ্যক্রম
; সুসংজ্ঞায়িত সমস্যা
: যে সমস্যাগুলোর একটি সুস্পষ্ট লক্ষ্য, সমাধানের পথ বা প্রত্যাশিত উত্তর নেই।
= প্রস্তাবিত পাঠ =
# আব্রামি, পি.সি., বার্নার্ড, আর.এম., বোরোখভস্কি, ই., ওয়েড, এ., সার্কস, এম.এ., তামিম, আর., এবং ঝাং, ডি (২০০৮)। সমালোচনামূলক চিন্তন দক্ষতা এবং স্বভাবগুলোকে প্রভাবিত করে এমন নির্দেশমূলক হস্তক্ষেপ: একটি পর্যায় ১ মেটা-বিশ্লেষণ। শিক্ষাগত গবেষণা পর্যালোচনা, ৭৮ (৪)। ১১০২-১১৩৪. ডিওআই: ১০.৩১০২ / ০০৩৪৬৫৪৩০৮৩২৬০৮৪।
# Phan, H.P. (২০১০)। শিক্ষণ এবং শেখার ক্ষেত্রে একটি স্ব-নিয়ন্ত্রক প্রক্রিয়া উপাদান হিসাবে সমালোচনামূলক চিন্তন। সাইকোথেমা, ২২ (২)। ২৮৪-২৯২.
# Kozulin, A. & Presseisen, B.Z. (১৯৯৫)। মধ্যস্থতা শেখার অভিজ্ঞতা এবং মনস্তাত্ত্বিক সরঞ্জাম: শিক্ষার্থী শেখার একটি গবেষণায় ভাইগটস্কি এবং ফয়েরস্টাইনের দৃষ্টিভঙ্গি। শিক্ষাগত মনোবিজ্ঞানী, ৩০ (২), ৬৭-৭৫।
# Crowell, A., & Kuhn, D. (২০১১)। তরুণ কিশোর-কিশোরীদের চিন্তাভাবনা বিকাশের বাহন হিসাবে সংলাপমূলক যুক্তি। মনস্তাত্ত্বিক বিজ্ঞান, ২২ (৪), ৫৪৫-৫৫২। ডিওআই: ১০.১১৭৭ / ০৯৫৬৭৯৭৬১১৪০২৫১২।
== বহিঃসংযোগ ==
9w9r2a3rwgpcoj89yw4sws1pb70jyzf
85830
85828
2025-07-08T09:01:07Z
MS Sakib
6561
/* শব্দকোষ */
85830
wikitext
text/x-wiki
আমরা প্রতিনিয়ত এমন বহু অস্পষ্টতা, মিথ্যা তথ্য, চ্যালেঞ্জ কিংবা পরিস্থিতির মুখোমুখি হই যা আমাদের ''[[চিন্তন ও নির্দেশনা/সমস্যা সমাধান, সমালোচনামূলক চিন্তন ও যুক্তি#শব্দকোষ সমালোচনামূলক চিন্তন|সমালোচনামূলক চিন্তন]],'' ''[[চিন্তন ও নির্দেশনা/সমস্যা সমাধান, সমালোচনামূলক চিন্তন ও যুক্তি#শব্দকোষ সমস্যা সমাধানের দক্ষতা|সমস্যা সমাধানের দক্ষতা]]'', এবং ''[[চিন্তন ও নির্দেশনা/সমস্যা সমাধান, সমালোচনামূলক চিন্তন ও যুক্তি#শব্দকোষ যুক্তি প্রদর্শনের দক্ষতা|যুক্তি প্রদর্শনের দক্ষতা]]'' প্রয়োগের দাবি রাখে। যদিও এই তিনটি শব্দ প্রায়ই একে অপরের পরিবর্তে ব্যবহার করা হয়, তবে এগুলোর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য রয়েছে। সমালোচনামূলক চিন্তন আমাদের পাঁচটি ইন্দ্রিয়ের মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্যের সাথে সক্রিয়ভাবে যুক্ত হতে এবং সেসব তথ্য নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা করতে সক্ষম করে। এটি আমাদের জ্ঞান বিশ্লেষণ, সমালোচনা, প্রয়োগ এবং নতুন ধারণা তৈরির ক্ষমতা প্রদান করে। সমালোচনামূলক চিন্তনকে সমস্যার সমাধান ও যুক্তি প্রদর্শনের একটি বিস্তৃত জ্ঞানগত দক্ষতা হিসেবে ধরা যায়। সমালোচনামূলক চিন্তনের মাধ্যমে আমরা কিছু যৌক্তিক সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারি, তবে সবসময় একটি নির্দিষ্ট 'সঠিক' ধারণা থাকে না। যা আমাদের কাছে 'সঠিক' মনে হয়, তা প্রায়ই খুবই বিষয়ভিত্তিক।
সমস্যা সমাধান হচ্ছে সমালোচনামূলক চিন্তনের একটি রূপ। এখানে শিক্ষার্থীদের এমন সিদ্ধান্ত নিতে হয়। এটি একটি নির্দিষ্ট সঠিক উত্তরের পরিবর্তে সম্ভাব্য সেরা সমাধান খুঁজে বের করার দিকে পরিচালিত করে। সেই সমস্যা বা সমাধান সুনির্দিষ্ট হোক বা অস্পষ্ট হোক, তা-ই হবে। সমস্যার সমাধানে অংশগ্রহণের একটি উপায় হলো জ্ঞানীয় শিক্ষক বা কগনিটিভ টিউটরের মতো টিউটর সিস্টেম ব্যবহার করা। এটি শিক্ষার্থীদের জন্য সমস্যা স্বনির্ধারণ করতে পারে। এটি তাদের শেখার অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করে। সমস্যার সমাধানের ক্ষেত্রে একটি বিশেষ পদ্ধতি হলো প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা। এখানে শিক্ষার্থীকে একটি কেন্দ্রীয় প্রশ্ন সমাধানের উপর গুরুত্ব দিয়ে শেখার কেন্দ্রে রাখা হয় এবং একটি বিস্তৃত অনুসন্ধানের মধ্য দিয়ে শেখানো হয়। সমস্যা ভিত্তিক শিক্ষা বাস্তব জীবনের সমস্যা নিয়ে কাজ করে যা শিক্ষার্থীদের বাস্তব অভিজ্ঞতার মাধ্যমে শেখাতে অনুপ্রাণিত করে। আরও একটি পদ্ধতি নকশা চিন্তন। এটি একটি নির্দিষ্ট কাঠামো ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের প্রকৃত সমস্যা সমাধানের জন্য একটি প্রোটোটাইপ তৈরি করতে উৎসাহিত করে। এই প্রক্রিয়াটিতে সহানুভূতি, বাস্তবসম্মত নকশা নীতিমালা এবং প্রোটোটাইপিং এর পরিশোধন প্রমাণ করে এখানে সমালোচনামূলক চিন্তন সক্রিয়ভাবে কাজ করছে।
একইভাবে, যুক্তি প্রদর্শন একটি সমালোচনামূলক চিন্তার প্রক্রিয়া। এখানে একক উত্তর না থাকলেও চিন্তা-ভাবনার মধ্যে আলোচনার প্রয়োজন পড়ে। যুক্তি প্রদর্শন বিশেষভাবে একটি দাবি বা ধারণাকে সমর্থন বা খণ্ডন করার জন্য যৌক্তিক ব্যাখ্যা ব্যবহার করে। তুলনামূলকভাবে, সমস্যা সমাধান হয়তো এমন একটি সমাধানে পৌঁছাতে পারে যা প্রমাণভিত্তিক বলে বিবেচিত হয়।
এই অধ্যায়ে এই তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের একটি তাত্ত্বিক পর্যালোচনা প্রদান করা হয়েছে: প্রতিটির বৈশিষ্ট্য, একে অপরের সাথে সম্পর্ক, এবং শ্রেণিকক্ষে বাস্তব প্রয়োগ।
'''শিক্ষার ফলাফল:'''
* সমালোচনামূলক চিন্তনের সংজ্ঞা ও এর জ্ঞানের সাথে পারস্পরিক সম্পর্ক ব্যাখ্যা করা
*
* সমস্যা সমাধানের সংজ্ঞা এবং কীভাবে এটি সমালোচনামূলক চিন্তনের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করে তা ব্যাখ্যা করা
*
* জ্ঞানীয় শিক্ষক কে একটি জ্ঞানীয় শেখার টুল হিসেবে উপস্থাপন করা। এটি সমস্যার সমাধানের মাধ্যমে শেখার মান উন্নত করে
*
* প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা কে সমস্যার সমাধানের একটি নির্দিষ্ট পদ্ধতি হিসেবে অনুসন্ধান করা
*
* নকশা চিন্তন কে প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা-এর একটি উপশ্রেণি হিসেবে বিশ্লেষণ করা এবং শেখার জন্য এর কাঠামো উপস্থাপন করা
*
* যুক্তি প্রদর্শনের সংজ্ঞা এবং এটি কীভাবে সমালোচনামূলক চিন্তার পদ্ধতি ব্যবহার করে তা ব্যাখ্যা করা
*
* যুক্তি প্রদর্শনের জন্য নির্দিষ্ট পদ্ধতি ও প্রয়োগের উপকরণ বিশ্লেষণ করা
= সমালোচনামূলক চিন্তন =
[[চিত্র:Critical_Thinking_Skills_Diagram.jpg|alt=সমালোচনামূলক চিন্তন এবং অন্যান্য জ্ঞানীয় দক্ষতার সাথে এর সম্পর্ক|থাম্ব|সমালোচনামূলক চিন্তন এবং অন্যান্য জ্ঞানীয় দক্ষতার সাথে এর সম্পর্ক]]
সমালোচনামূলক চিন্তন শিক্ষার একটি অত্যন্ত মূল্যবান দিক। মানুষের জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা যত বাড়ে, সমালোচনামূলক চিন্তনের ক্ষমতাও সাধারণত বাড়ে; কিন্তু এই বিকাশ যত তাড়াতাড়ি শুরু করা যায় ততই ভালো। গবেষণায় দেখা গেছে, সমালোচনামূলক চিন্তনের দক্ষতা জ্ঞানের স্থানান্তরের সাথে সম্পর্কযুক্ত, আর এই দক্ষতার অভাব পক্ষপাতদুষ্ট যুক্তির সাথে সম্পর্কিত <ref>Heijltjes, A., Van Gog, T., & Paas, F. (2014). Improving Students' Critical Thinking: Empirical Support for Explicit Instructions Combined with Practice. Applied Cognitive Psychology, 28(4), 518-530.</ref>। শিশুরা প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা শুরু করার আগেই বাড়িতে বাবা-মা ও অভিভাবকদের সাথে পারস্পরিক মিথস্ক্রিয়ার মাধ্যমে সমালোচনামূলক চিন্তন গড়ে তোলে <ref name=":16">Murphy, K. P., Rowe, M. L., Ramani, G., & Silverman, R. (2014). Promoting Critical-Analytic Thinking in Children and Adolescents at Home and in School. Educational Psychology Review, 26(4), 561-578.</ref>। এছাড়াও, স্পষ্ট নির্দেশনা দিলে এই দক্ষতা আরও বাড়ে <ref>Gick, M. L. (1986). Problem-Solving Strategies. Educational Psychologist, 21(1/2), 99-121.</ref>।
সমালোচনামূলক চিন্তন আমাদের এমন সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করে যা আমাদের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে যেমন নির্বাচন। এখানে প্রার্থীরা নিজেদের ও অন্যদের সম্পর্কে পক্ষপাতদুষ্ট তথ্য উপস্থাপন করে, খুব কার্যকর হয়। সমালোচনামূলক চিন্তনের অনুপস্থিতিতে মানুষ মিথ্যা তথ্য ও পক্ষপাতদুষ্ট যুক্তির শিকার হয়ে পড়তে পারে। তাই শিক্ষার্থীদেরকে সমালোচনামূলক চিন্তনের সাথে পরিচিত করানো এবং তারা যেন এটি ব্যবহার করে তা উৎসাহিত করা খুব জরুরি।
=== সমালোচনামূলক চিন্তনের সংজ্ঞা ===
সাধারণভাবে, সমালোচনামূলক চিন্তন বলতে বোঝায় যুক্তি এবং প্রমাণের মূল্যায়নের একটি প্রক্রিয়া। এর মাধ্যমে বিভিন্ন সম্ভাব্য সিদ্ধান্তের মধ্যে সবচেয়ে যথাযথ ও যুক্তিসম্মত সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যায়। এটি একটি গতিশীল এবং প্রতিফলনশীল প্রক্রিয়া। এটি মূলত প্রমাণভিত্তিক <ref name=":15">Ku, K. Y., Ho, I. T., Hau, K., & Lau, E. C. (2014). Integrating direct and ''[[চিন্তন ও নির্দেশনা/সমস্যা সমাধান, সমালোচনামূলক চিন্তন ও যুক্তি#শব্দকোষ Inquiry-Based Instruction|Inquiry_Based Instruction]]'' in the teaching of critical thinking: An intervention study. Instructional Science, 42(2), 251-169.</ref>।
সমালোচনামূলকভাবে চিন্তা করা মানে হলো তথ্যকে নিরপেক্ষভাবে বিশ্লেষণ করা, বিপরীতমুখী মতামত অন্বেষণ করা এবং অবশেষে প্রমাণ ও সুপরিকল্পিত চিন্তার ভিত্তিতে একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছানো। সমালোচনামূলক চিন্তাবিদেরা সরবরাহকৃত তথ্যের বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে, প্রমাণ অনুসন্ধান করে এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও জটিল সমস্যার সমাধানে দ্বিধা করেন না <ref name=":14">Mathews, S. R., & Lowe, K. (2011). Classroom environments that foster a ''[[চিন্তন ও নির্দেশনা/সমস্যা সমাধান, সমালোচনামূলক চিন্তন ও যুক্তি#শব্দকোষ Disposition for Critical Thinking|Disposition for Critical Thinking]]''. Learning Environments Research, 14(1), 59-73.</ref>। প্রশ্ন করা, কোনো বিষয় নিয়ে বিতর্ক করা, এবং তথ্যের উৎসের বিশ্বাসযোগ্যতা পর্যালোচনা করাও সমালোচনামূলক চিন্তার উদাহরণ।
গ্লেজার (১৯৪১) এর মতে, সমালোচনামূলক চিন্তনের তিনটি প্রধান উপাদান আছে: সমালোচনামূলক চিন্তার মানসিকতা, এই চিন্তাভাবনার কৌশল সম্পর্কে জ্ঞান, এবং কৌশলগুলো প্রয়োগ করার সক্ষমতা <ref>Glaser, E. M. (1941). An Experiment in the Development of Critical Thinking. Columbia University.</ref>।
তথ্যকে বিশ্লেষণ ও মূল্যায়নের মতো জ্ঞানীয় প্রক্রিয়াগুলোর মাধ্যমে সমালোচনামূলক চিন্তন কোনো বিষয় বা সমস্যাকে আরও গভীরভাবে বোঝার পথে নিয়ে যায়। চিন্তার একটি প্রতিফলনমূলক রূপ হিসেবে এটি নিজস্ব ধারণা, উদ্দেশ্য, অনুভূতি এবং আচরণ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে <ref name=":13">Phan, H.P. (2010). Critical thinking as a self-regulatory process component in teaching and learning. Psicothema, 22(2). 284-292.</ref>।
{| class="wikitable"
|<big>'''সমালোচনামূলক চিন্তনের উপাদান'''</big>
|-
|''[[চিন্তন ও নির্দেশনা/সমস্যা সমাধান, সমালোচনামূলক চিন্তন ও যুক্তি#শব্দকোষ Knowledge|জ্ঞান]]''
|একটি জ্ঞানের ভিত্তি গড়ে তোলা এবং জ্ঞান অর্জনের জন্য নির্দিষ্ট কৌশল তৈরি করা। এটি নির্দেশনার মাধ্যমে আরও কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
|-
|''[[চিন্তন ও নির্দেশনা/সমস্যা সমাধান, সমালোচনামূলক চিন্তন ও যুক্তি#শব্দকোষ Inference|অনুমান]]''
|বিদ্যমান জ্ঞানের ভিত্তির মধ্যে সংযোগ তৈরি করা ''[[চিন্তন ও নির্দেশনা/সমস্যা সমাধান, সমালোচনামূলক চিন্তন ও যুক্তি#শব্দকোষ Deduction|নির্গমন]]'' এবং/বা ''[[চিন্তন ও নির্দেশনা/সমস্যা সমাধান, সমালোচনামূলক চিন্তন ও যুক্তি#শব্দকোষ Induction|অনুমিতি]]'' এর মাধ্যমে।
|-
|''[[চিন্তন ও নির্দেশনা/সমস্যা সমাধান, সমালোচনামূলক চিন্তন ও যুক্তি#শব্দকোষ Evaluation|মূল্যায়ন]]''
|বিশ্লেষণ, বিচার, ওজন নির্ধারণ, নৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ, সমালোচনা এবং নিজস্ব ও বাহ্যিক তথ্যের প্রতি প্রশ্ন উত্থাপন।
|-
|''[[চিন্তন ও নির্দেশনা/সমস্যা সমাধান, সমালোচনামূলক চিন্তন ও যুক্তি#শব্দকোষ Metacognition|মেটাকগনিশন]]''
|"চিন্তার বিষয়ে চিন্তা" করার প্রক্রিয়া। এর মধ্যে নিজের সিদ্ধান্ত, মতামত বা বিশ্বাসগুলি যথাযথ ও প্রমাণসমর্থিত কি না তা মূল্যায়ন অন্তর্ভুক্ত।
|}
=== সমালোচনামূলক চিন্তন একটি পশ্চিমা ধারণা ===
[[চিত্র:EPSA_General_Assembly.jpg|alt=সমালোচনামূলক চিন্তনকে সব গণতান্ত্রিক নাগরিকদের জন্য অপরিহার্য বলে বিবেচনা করা হয়|থাম্ব|সমালোচনামূলক চিন্তনকে সব গণতান্ত্রিক নাগরিকদের জন্য অপরিহার্য বলে বিবেচনা করা হয়]]
আধুনিক শিক্ষায়, সমালোচনামূলক চিন্তনকে এমন একটি বিষয় হিসেবে বিবেচনা করা হয় যা সকলের শেখা উচিত এবং যা মানুষের সার্বজনীন প্রয়োজন, বিশেষ করে উচ্চশিক্ষায় <ref name=":0">Moon, J. (2007). Critical Thinking: An Exploration of Theory and Practice (1st ed.). London ; New York: Routledge.</ref><ref name=":18">Kurfiss, J. G. (1988). Critical Thinking: Theory, Research, Practice, and Possibilities: ASHE-ERIC/Higher Education Research Report, Volume 17, Number 2, 1988 (1st ed.). Washington, D.C: Jossey-Bass.</ref>। তবে, সমালোচনামূলক চিন্তন একটি মানবিক নির্মাণ <ref name=":19">Board on Testing and Assessment, Division of Behavioral and Social Sciences and Education, & National Research Council. (2011). Assessing 21st Century Skills: Summary of a Workshop. National Academies Press.</ref> – এটি কোনো বৈজ্ঞানিক সত্য নয় – এবং এটি [[w:Ancient_Greek_philosophy|প্রাচীন গ্রিক দর্শন]] ও বিশ্বাসের সাথে গভীরভাবে যুক্ত <ref name=":1">Mason, M. (2009). Critical Thinking and Learning. John Wiley & Sons.</ref>।
এই সংযোগ প্রাচীন গ্রিসের যুক্তিবাদী চিন্তার প্রাধান্য এবং গণতান্ত্রিক নীতির প্রতিফলন করে <ref name=":1" />। এল্ডার ও পল<ref name=":5">Elder, L., & Paul, R. (2009). The Art of Asking Essential Questions (5th Edition). Dillon Beach, CA: Foundation for Critical Thinking</ref>, মুন<ref name=":0" />, এবং স্ট্যানলিক এবং স্ট্রসার<ref name=":6">Paul, R., & Elder, L. (2007). The Thinker’s Guide to The Art of Socratic Questioning. Dillon Beach, CA: The Foundation for Critical Thinking.</ref> সহ বিভিন্ন লেখক বিশ্বাস করেন, সমালোচনামূলক চিন্তনের সূত্রপাত [[w:Socrates|সক্রেটিসের]] সময় থেকেই হয়েছে। মরগান ও স্যাক্সটন (২০০৬) সমালোচনামূলক চিন্তনকে গণতান্ত্রিক নাগরিকদের একটি মৌলিক প্রয়োজনীয়তা হিসেবে দেখেছেন <ref name=":3">Morgan, N., & Saxton, J. (2006). Asking Better Questions (2nd ed.). Markham, ON: Pembroke Publishers.</ref>।
প্রাচীন গ্রিসের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ হলো সক্রেটীয় পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে দুটি বা ততোধিক ব্যক্তির মধ্যে যুক্তিপূর্ণ প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমে আলোচনা হয়। এখানে তারা একে অপরের মতবাদ চ্যালেঞ্জ করে <ref name=":2">Cain, R. B. (2007). The Socratic Method: Plato’s Use of Philosophical Drama. A&C Black.</ref>। এমন আলোচনা বাস্তবতা ও মতামতের দ্বৈততার বিষয় উত্থাপন করে। এখানে একটি ‘সঠিক উত্তর’ খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা করা হয়, তবে এই পদ্ধতির মধ্য দিয়েই মতবাদের বিষয়ভিত্তিকতা ফুটে ওঠে <ref name=":2" />।
এই প্রাচীন গ্রিক সংযোগের কারণে সমালোচনামূলক চিন্তনকে সাধারণত একটি পশ্চিমা ধারণা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ ধারণা আরও জোরালো হয় [[w:Bloom's_taxonomy|ব্লুমের শ্রেণিবিন্যাস]] নামক আরেকটি পশ্চিমা কাঠামোর মাধ্যমে। এটি আধুনিক শিক্ষায় সমালোচনামূলক চিন্তনের মূলে বিবেচিত <ref>Harmon, D. A., & Jones, T. S. (2005). Elementary Education: A Reference Handbook. ABC-CLIO.</ref>।
যেহেতু সমালোচনামূলক চিন্তন একটি মানবিক নির্মাণ, তাই এটি কেমন হওয়া উচিত তা ব্যক্তি থেকে ব্যক্তিভেদে ভিন্ন হতে পারে। মুন (১৯৯৭) তার কর্মশালাগুলো থেকে সমালোচনামূলক চিন্তনের ২১টি সাধারণ সংজ্ঞা তুলে ধরেছেন এবং তারপর নিজের ২-পৃষ্ঠার সংজ্ঞা প্রদান করেছেন <ref name=":0" />। একটি মতামত অনুসারে, সমালোচনামূলক চিন্তন এমন একটি দক্ষতার সমষ্টি যা কাউকে যুক্তিযুক্ত সিদ্ধান্ত নিতে এবং এমন প্রেক্ষাপটে সিদ্ধান্ত দিতে সক্ষম করে যেখানে পূর্ব জ্ঞান বিদ্যমান <ref name=":19" />। আরেকটি মত অনুযায়ী, এটি একটি পদ্ধতিগত যুক্তি ও বিশ্লেষণের ব্যবহার। এটি সবসময় প্রমাণভিত্তিক না হলেও যুক্তিনির্ভর ও বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করে <ref>Stanley, T., & Moore, B. (2013). Critical Thinking and Formative Assessments: Increasing the Rigor in Your Classroom. Routledge.</ref>। শেষ পর্যন্ত মুন এর মতে, সমালোচনামূলক চিন্তনের নির্দিষ্ট কোনো সঠিক বা ভুল সংজ্ঞা নেই <ref name=":0" />।
=== বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলে সমালোচনামূলক চিন্তন ===
গবেষকেরা যুক্তি দেন, সমালোচনামূলক চিন্তনের ধারণাটি যদিও পশ্চিমা, গণতান্ত্রিক দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্কিত, তবে এর অর্থ এই নয় যে অন্যান্য অ-পশ্চিমা সংস্কৃতিগুলোর মধ্যে সমালোচনামূলক চিন্তন সংক্রান্ত অনুরূপ কোনো গঠন বা চর্চা নেই <ref name=":4">Jung, I., Nishimura, M., & Sasao, T. (2016). Liberal Arts Education and Colleges in East Asia: Possibilities and Challenges in the Global Age. Springer.</ref>। বরং, “যুক্তি প্রদর্শনের বিভিন্ন পন্থা বা রূপ বিদ্যমান” <ref>Mason, M. (2009). Critical Thinking and Learning. John Wiley & Sons. p. 8.</ref>; যেমন, এশীয় অঞ্চলে বিতর্ক করার পদ্ধতিতে একে অপরের বিরোধী মতামতের মধ্যে সংযোগ খোঁজার চেষ্টা করা হয় যাতে এই মতাদর্শগুলো সহাবস্থান করতে পারে <ref name=":4" />। এটি পূর্বাচলিত মুখরক্ষা মূল্যবোধের কারণে ঘটে <ref name=":02" />। এর বিপরীতে, পশ্চিমা পন্থাগুলোকে প্রায়ই প্রতিযোগিতামূলক হিসেবে দেখা হয়: যেখানে অন্যের মতামত আক্রমণ করে নিজের অবস্থান রক্ষা করা হয়। যদিও এই বিভাজনমূলক সাধারণীকরণ বিদ্যমান, পূর্ব ও পশ্চিমা পন্থার মধ্যে বাস্তবিক দৃষ্টিকোণ থেকে অনেক মিল রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, এশীয় কূটনৈতিক বিতর্কপদ্ধতির ক্ষেত্রে যেমন সমঝোতা এবং আলোচনার প্রয়োজন হয়, তেমনি পশ্চিমা পন্থাগুলোর মধ্যেও এসব উপাদান থাকে কারণ ধারণাগুলো অনেক সময় জটিল হয় এবং অনেকগুলো 'সঠিক' উত্তর থাকতে পারে <ref name=":32" />। অনুরূপভাবে, অন্যান্য সংস্কৃতিগুলো কতটা পশ্চিমা সমালোচনামূলক চিন্তনের ধারণা গ্রহণ করে তা সংস্কৃতিগত মূল্যবোধ দ্বারা নির্ধারিত হয়। উদাহরণস্বরূপ, মুসলিম সংস্কৃতিগুলোতে সমালোচনামূলক চিন্তার মূল্য, নিজের মতামত প্রকাশের উপযুক্ততা সম্পর্কিত দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত <ref>Davies, M., & Barnett, R. (2015). The Palgrave Handbook of Critical Thinking in Higher Education. Springer.</ref>।
=== প্রবণতা ও সমালোচনামূলক চিন্তন ===
অনেকে মনে করেন, কেবলমাত্র সমালোচনামূলক চিন্তনের দক্ষতা থাকাই যথেষ্ট নয়—সমালোচনামূলক চিন্তার জন্য একটি '''[[w:Disposition|প্রবণতা]]''' থাকা প্রয়োজন <ref name=":142" />। এই প্রবণতা বা মানসিক প্রস্তুতি কগনিটিভ স্কিল থেকে ভিন্ন। এটি ব্যাখ্যা করা যায় এমন একটি ক্ষমতা হিসেবে। এখানে কেউ সচেতনভাবে একটি দক্ষতা ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নেয়, কেবল তা প্রয়োগ করার সক্ষমতার বাইরে <ref name=":152" />। সমালোচনামূলক চিন্তার প্রবণতার মধ্যে বুদ্ধিবৃত্তিক কার্যকলাপে প্রকৃত আগ্রহ ও দক্ষতা থাকতে পারে। পারকিন্স প্রমুখ (২০০০) এই ধারণাটি প্রসারিত করে বলেন, সমালোচনামূলক চিন্তার প্রবণতার তিনটি দিক রয়েছে: বুদ্ধিবৃত্তিক আচরণে অংশগ্রহণের একটি প্রবণতা; সুযোগগুলো সম্পর্কে সচেতনতা যেখানে এই আচরণগুলো চর্চা করা যায়; এবং সমালোচনামূলক চিন্তায় অংশগ্রহণের একটি সামগ্রিক সক্ষমতা <ref name=":142" />। হালপের্ন (১৯৯৮) উল্লেখ করেন, এই প্রবণতার মধ্যে কঠিন কাজ চালিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা, উদার মনের মানসিকতা এবং পরিকল্পনার অভ্যাস থাকা উচিত <ref name=":142" />। ক্লিফোর্ড প্রমুখ (২০০৪) পরিচালিত একটি কগনিটিভ স্কিল গবেষণায় দেখা গিয়েছে, সমালোচনামূলক চিন্তার প্রবণতা ভালো সমালোচনামূলক চিন্তাধারার দক্ষতার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত <ref name=":152" />।
নিম্নোক্ত বৈশিষ্ট্যগুলো হলো ব্যক্তির মনোভাব বা ব্যক্তিত্বের গুণাবলি, যেগুলো সমালোচনামূলক চিন্তনের দক্ষতা অর্জনে সহায়ক:
# জিজ্ঞাসু মনোভাব
# পদ্ধতিগত চিন্তা
# বিচারক্ষমতা সম্পন্ন
# সত্যান্বেষী
# বিশ্লেষণধর্মী
# উদারমনা
# যুক্তির উপর আস্থা
[[চিত্র:P_religion_world.svg|alt=ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক বিশ্বাস সমালোচনামূলক চিন্তার প্রবণতাকে প্রভাবিত করে|থাম্ব|ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক বিশ্বাস সমালোচনামূলক চিন্তার প্রবণতাকে প্রভাবিত করে]]
অনেকগুলো বিষয়ই কারও সমালোচনামূলক চিন্তার প্রবণতাকে প্রভাবিত করতে পারে; এর মধ্যে প্রথমটি হলো সংস্কৃতি <ref name=":142" />। সংস্কৃতির অনেক দিকই মানুষের সমালোচনামূলক চিন্তার সক্ষমতাকে প্রভাবিত করতে পারে। যেমন, ধর্ম অনেক সময় এই দক্ষতার বিকাশে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে <ref name=":142" />। অনেক ধর্মই বিশ্বাসের উপর প্রতিষ্ঠিত। এখানে প্রমাণ ছাড়াই অন্ধ বিশ্বাসের প্রয়োজন হয়। সংগঠিত ধর্মের এই বৈশিষ্ট্যটি সমালোচনামূলক চিন্তার মূল ভিত্তির বিরোধিতা করে। কারণ সমালোচনামূলক চিন্তা মূলত যেকোনো দাবির যথার্থতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা মূল্যায়ন করে। এমন পরিবেশে বেড়ে ওঠা একটি শিশুর এই দক্ষতা বিকাশে অন্তরায় হতে পারে। এই ধরনের পরিবেশ ধর্মীয় বিশ্বাস প্রশ্নবিদ্ধ করার প্রবণতা বা ধর্মের গ্রহণযোগ্যতা বিশ্লেষণের মনোভাবকে দমন করতে পারে। আরেকটি সাংস্কৃতিক উপাদান হলো কর্তৃত্ব <ref name=":142" />। একজন শিশু যদি কর্তৃত্ববাদী অভিভাবকত্বে বেড়ে ওঠে, তবে তাদের জীবনের অনেক দিকেই নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে, কিন্তু বিশেষভাবে সমালোচনামূলক চিন্তার ওপর এর প্রভাব বেশি পড়ে। কারণ সেখানে কর্তৃত্বের বিশ্বাসযোগ্যতা প্রশ্ন করা শেখানো হয় না এবং কেউ করলে তাকে শাস্তি দেওয়া হয়। এই একই বিষয় শ্রেণিকক্ষেও প্রযোজ্য <ref name=":142" />। শ্রেণিকক্ষের এমন পরিবেশ। এখানে শিক্ষকেরা মুক্ত আলোচনার পরিবেশ তৈরি করেন না বা শিক্ষার্থীদের শেখানো বিষয়ে প্রশ্ন তুলতে দেন না, তা সমালোচনামূলক চিন্তার বিকাশে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। যেখানে প্রশ্ন করা নিরুৎসাহিত করা হয় বা বাড়িতে অভিভাবকীয় কর্তৃত্ব খুব বেশি, সেসব পরিবেশ শিক্ষার্থীদের চিন্তার স্বাধীনতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। উপরন্তু, এসব শিক্ষার্থী হয়তো আজীবন এমন পরিবেশে অভ্যস্ত হয়ে ওঠে <ref name=":142" />। তবে, এই সাংস্কৃতিক সীমাবদ্ধতাগুলো সত্ত্বেও, ঘর ও শ্রেণিকক্ষে সমালোচনামূলক চিন্তার প্রবণতা গড়ে তোলার উপায় রয়েছে।
শ্রেণিকক্ষের গঠনই এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায়। এর মাধ্যমে এই প্রবণতাগুলোকে উৎসাহিত করা যায়। এমন শ্রেণিকক্ষের কাঠামো তৈরি করা। এখানে শিক্ষার্থীরা কী পড়বে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে পারে, তা সমালোচনামূলক চিন্তা প্রবণতা গঠনে সহায়ক হতে পারে <ref name=":142" />। এ ধরনের কাঠামো শিক্ষার্থীদের শেখার বিষয়ের প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি করে এবং সেই সঙ্গে এমন একটি শ্রেণিকক্ষের পরিবেশ তৈরি করে যেখানে শিক্ষার্থীরা শিক্ষক এবং সহপাঠীদের মতামত ও বিশ্বাস সম্পর্কে প্রশ্ন তুলতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে। শিক্ষার্থীদের দেওয়া তথ্য বিশ্লেষণ ও মূল্যায়নের স্বাধীনতা দেওয়া, এমন একটি শ্রেণিকক্ষের পরিবেশ তৈরি করে যেখানে সমালোচনামূলক চিন্তা প্রবণতা বিকাশ সম্ভব। এই স্বাধীনতা শিক্ষার্থীদের বৃহত্তর শ্রেণিকক্ষ কাঠামোর ভেতরেও স্বতন্ত্র ব্যক্তি হিসেবে গড়ে ওঠার সুযোগ দেয় এবং তাদের নিজের সিদ্ধান্ত নিজেরাই নেওয়ার ক্ষমতা অর্জনের পথ করে দেয়। শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের ক্ষমতা ভাগ করে দেওয়া তাদের উদ্দীপনা ধরে রাখা ও বিশ্লেষণধর্মী মনোভাব গড়ে তোলার ক্ষেত্রে অত্যন্ত কার্যকর হতে পারে <ref name=":142" />। শিক্ষকরা শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের স্বতন্ত্রতা গঠনের জন্য বিভিন্ন কৌশল ব্যবহার করতে পারেন। শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন ভূমিকা পালন করতে দেওয়া যেতে পারে, যেমন পূর্বানুমান করা বা সমস্যা বিশ্লেষণ করা <ref name=":142" />। শিক্ষার্থীদের সামনে উপস্থাপিত সমস্যাগুলোতে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করতে দেওয়া, কেবল পাঠ্যপুস্তক বা শিক্ষকের মতামত শেখানো নয়, বরং নিজের মত গঠনের জন্য শিক্ষার্থীদের স্বাধীনতা দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। এর পাশাপাশি, বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করা ও বিশ্লেষণ করাও সমালোচনামূলক চিন্তা প্রবণতা গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এতে শিক্ষার্থীরা নিজেরাই তথ্য খুঁজে বের করে, বিশ্লেষণ করে এবং নিজস্ব সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারে <ref name=":142" />। এইভাবে শিক্ষার্থীরা তাদের পূর্বানুমান ও গবেষণার ফলাফল বিশ্লেষণ করে সেই ধারণাগুলোর যথার্থতা মূল্যায়ন করতে পারে <ref name=":142" />।
=== আত্ম-নিয়ন্ত্রণ ও সমালোচনামূলক চিন্তন ===
শিক্ষকদের উচিত, সমালোচনামূলক চিন্তা শেখানোর পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের '''[[w:আত্ম-নিয়ন্ত্রণ|আত্ম-নিয়ন্ত্রণ]]''' বজায় রাখার দিকেও নজর দেওয়া। নতুন কোনো দক্ষতা শেখার সময় শিক্ষার্থীদের তাদের শেখার প্রতি মোটিভেশন বজায় রাখতে এবং আত্মপ্রণোদিত মনোভাব রাখার প্রয়োজন হয়। ফ্যান (২০১০)-এর একটি প্রবন্ধে বলা হয়েছে। এরা আত্ম-নিয়ন্ত্রিত শিক্ষার্থী, তারা লক্ষ্যের প্রতি বেশি মনোযোগী হয়, নিজেদের শেখার জন্য আরও বেশি দায়িত্বশীল হয়, তাদের মোটিভেশন বজায় থাকে, এবং তারা কগনিটিভভাবে আরও নমনীয় হয়। এর ফলে তারা সমালোচনামূলক চিন্তা চর্চায় আগ্রহী হয়। যেহেতু সমালোচনামূলক চিন্তন দক্ষতা অত্যন্ত প্রতিফলনমুখী, তাই তা আত্ম-নিয়ন্ত্রিত শিক্ষায় সহায়তা করে এবং বিপরীতভাবে আত্ম-নিয়ন্ত্রণমূলক কৌশলগুলো সমালোচনামূলক চিন্তন দক্ষতা গঠনে সহায়তা করে <ref name=":132" />।
[[চিন্তন ও নির্দেশনা/সমস্যা সমাধান, সমালোচনামূলক চিন্তন ও যুক্তি#আত্ম-নিয়ন্ত্রণ|আত্ম-নিয়ন্ত্রণ]] শিক্ষার্থীদের সক্রিয়ভাবে শেখার জন্য প্রয়োজনীয় মৌলিক মেটা-কগনিটিভ সচেতনতা দেয়। এই সচেতনতা শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন, প্রতিফলন এবং যুক্তিসিদ্ধ সিদ্ধান্ত নেওয়ার মতো সমালোচনামূলক চিন্তা প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণে সহায়তা করে। নিজের চিন্তাভাবনা মূল্যায়নের মেটা-কগনিটিভ ক্ষমতার মাধ্যমে, একজন শিক্ষার্থী শেখার ক্ষেত্রে আত্মনির্ভরশীল হয়ে উঠতে পারে <ref name=":132" />। প্রতিটি কাজে একজন তত্ত্বাবধায়ক থাকা না লাগলেও শিক্ষার্থী নিজেই নিজের অগ্রগতি মূল্যায়ন করে নিজস্ব গতিতে এগিয়ে যেতে পারে, এটাই SRL-এর মূলনীতি। এই প্রক্রিয়ার অংশ হলো একজন শিক্ষার্থীর নিজস্ব কৌশল নিয়ে নিয়মিতভাবে প্রতিফলন করা। এই প্রতিফলন সমালোচনামূলক চিন্তার মাধ্যমে শিক্ষার্থীর শেখার পদ্ধতি অনুযায়ী উপযুক্ত কৌশল বেছে নিতে সাহায্য করে।
সমালোচনামূলক চিন্তার জটিল প্রকৃতি ইঙ্গিত করে এটি একটি দীর্ঘমেয়াদী বিকাশ প্রক্রিয়া। এখানে দিকনির্দেশনা, চর্চা ও পুনরাবৃত্তি প্রয়োজন। এই প্রক্রিয়াকে সহজ করতে, আত্ম-পর্যবেক্ষণ আত্ম-নিয়ন্ত্রণের প্রাথমিক ধাপ হিসেবে কাজ করে। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা তাদের নিজের শিক্ষা অর্জনের প্রতিফলন শুরু করতে পারে। এই মূল্যায়ন অ্যাকাডেমিক সক্ষমতা সম্পর্কে মোটিভেশনাল বিশ্বাস সৃষ্টি করে আত্ম-দক্ষতা বৃদ্ধি করে <ref name=":132" />। এরপর চর্চার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা তাদের সমালোচনামূলক চিন্তন দক্ষতাকে নিজেদের পরিধি ছাড়িয়ে শিক্ষাগত প্রেক্ষাপটে প্রসারিত করতে পারে। নিয়মিত চর্চার মাধ্যমে, শিক্ষার্থীরা তাদের মেটা-কগনিটিভ কৌশলকে দীর্ঘমেয়াদী সমালোচনামূলক চিন্তন দক্ষতা গঠনের ভিত্তি হিসেবে ব্যবহার করতে পারে।
== সমালোচনামূলক চিন্তনের কৌশলসমূহ ==
[[চিত্র:Studysuccessweb.jpg|থাম্ব|ধারণাচিত্র]]
মনোবিজ্ঞানী ও শিক্ষাবিদেরা সমালোচনামূলক চিন্তার বিকাশের জন্য বহু কৌশল আবিষ্কার করেছেন। এই কৌশলগুলোর মধ্যে কিছু খুব পরিচিত, যেমন [[w:ধারণাচিত্র|ধারণাচিত্র]] বা [[w:Venn_diagram|ভেন চিত্র]], আবার কিছু কম পরিচিত যেমন, "আপিল-কোয়েশ্চন স্টিমুলাস স্ট্র্যাটেজি" <ref name=":17">Cibáková, D. (2015). Methods of developing critical thinking when working with educative texts. E-Pedagogium, (2), 135-145.</ref>। ধারণাচিত্র মানচিত্র ধারণা ও বিষয়বস্তুর পারস্পরিক সম্পর্ক চিত্রিত করতে সহায়ক, এবং ভেন চিত্র সাধারণত পরস্পরবিরোধী ধারণা উপস্থাপনের জন্য ব্যবহৃত হয় <ref name=":17" />।
=== ভেন চিত্র ===
[[চিত্র:Venn-and.svg|alt=ভেন ডায়াগ্রাম|থাম্ব|ভেন চিত্র]]
উচ্চ বিদ্যালয় ৭ম শ্রেণি থেকেই গণিতে সেট অধ্যায়ে ভেন চিত্র প্রায়ই ব্যবহৃত হয়। অন্য পর্যায়েও তুলনামূলক বিশ্লেষণের জন্য এটি ব্যবহৃত হয়। উদাহরণস্বরূপ, বিজ্ঞান ক্লাসে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন গাছ বা প্রাণীর তুলনা ও বিপরীত বৈশিষ্ট্য উপস্থাপনার জন্য ভেন চিত্র তৈরি করতে বলা যেতে পারে। ধারণাচিত্র মানচিত্র প্রাথমিক পর্যায়ে পরিচয় করিয়ে দেওয়া গেলেও তা মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা পর্যায়ে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়। এই ধরনের মানচিত্র শিক্ষার্থীদের পাঠ্যবিষয়ের সঙ্গে যুক্ত থাকতে উৎসাহিত করার একটি সক্রিয় ও বহুমাত্রিক পন্থা।
একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো কনসেপ্ট ম্যাপিং শিক্ষার্থীদের পূর্বে শেখা তথ্য নিয়ে চিন্তা করতে এবং সংযোগ তৈরি করতে উদ্বুদ্ধ করে। প্রাথমিক শ্রেণিগুলোতে, কনসেপ্ট ম্যাপ প্রকল্প হিসেবে উপস্থাপন করা যেতে পারে, আর পরবর্তীতে, যেমন কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে, শিক্ষার্থীরা এটি একটি অধ্যয়ন কৌশল হিসেবে ব্যবহার করতে পারে। প্রাথমিক স্তরে, শিক্ষার্থীরা তাদের পড়া গল্পে চরিত্র, স্থান বা কাহিনির মধ্যে সংযোগ স্থাপনে কনসেপ্ট ম্যাপ ব্যবহার করতে পারে। যখন কনসেপ্ট ম্যাপ পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়, তখন শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের একটি শব্দ বা বাক্যাংশের তালিকা দিতে পারেন এবং শিক্ষার্থীদের নির্দেশ দেন এগুলোর মধ্যে সংযোগ কনসেপ্ট ম্যাপের আকারে চিত্রিত করতে। প্রশ্ন করা একটি সহজ এবং আকর্ষণীয় উপায় হতে পারে সমালোচনামূলক চিন্তার বিকাশের জন্য। শিক্ষকরা উপকরণ নিয়ে শিক্ষার্থীদের প্রশ্ন করে শুরু করতে পারেন এবং তারপর শিক্ষার্থীদের নিজেদের প্রশ্ন তৈরি করতে উৎসাহিত করতে পারেন। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষায়, শিক্ষার্থীরা কোনো উৎসের বিশ্বাসযোগ্যতা যাচাইয়ের জন্য প্রশ্ন ব্যবহার করতে পারে। প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যায়ে, প্রশ্ন ব্যবহার করা যেতে পারে শিক্ষার্থীদের উপকরণ বোঝার ক্ষমতা মূল্যায়নে, এবং একই সঙ্গে তাদের সমালোচনামূলক চিন্তায় উৎসাহিত করতে, যেমন গল্পের চরিত্রদের কার্যকলাপ নিয়ে প্রশ্ন তোলা বা কোনো পরীক্ষার গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে চিন্তা করা। ‘অ্যাপিল-কোয়েশ্চেন স্টিমুলি’। এর প্রবর্তক স্বোবোডোভা, এই পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীরা তাদের পড়া বোঝাপড়া সম্পর্কে প্রশ্ন তোলে <ref name=":172" />।
=== আলোচনা ===
শিক্ষার্থীদের সমালোচনামূলক চিন্তন দক্ষতা বিকাশে আলোচনা একটি বিশেষভাবে কার্যকর কৌশল হতে পারে শিক্ষকদের জন্য। সহপাঠীদের সঙ্গে মিথস্ক্রিয়া কিছু নির্দিষ্ট সমালোচনামূলক চিন্তন দক্ষতা গঠনের ভিত্তি তৈরি করে, যেমন ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ এবং সহযোগিতা। এটি হয়তো সরাসরি শেখানোর মাধ্যমে সহজে শেখানো যায় না। আলোচনার একটি বড় অংশ অবশ্যই ভাষা। ক্লুস্টার (২০০২) বলেছেন, সমালোচনামূলক চিন্তা শুরু হয় প্রশ্ন তোলার মাধ্যমে <ref name=":172" />। অনুরূপভাবে, ভিগোৎসকি উল্লেখ করেছেন যে ভাষাগত দক্ষতা উচ্চস্তরের চিন্তাধারার জন্য অপরিহার্য পূর্বশর্ত হতে পারে <ref name=":162" />। যখন শিশুদের শব্দভাণ্ডার বড় হয়, তখন তারা পাঠ্যবস্তুকে আরও ভালোভাবে বুঝতে পারে এবং তারপরে সে উপকরণ নিয়ে বিমূর্তভাবে চিন্তা করতে পারে এবং সহপাঠীদের সঙ্গে তা নিয়ে চিন্তাশীল আলোচনা করতে পারে <ref name=":162" />।
গবেষণায় দেখা গিয়েছে,, বিভিন্ন বয়সের সহপাঠীদের মধ্যে আলোচনা সমালোচনামূলক চিন্তার বিকাশে বিশেষভাবে সহায়ক হতে পারে। এই ধরনের গ্রুপগুলো কার্যকর হতে পারে কারণ শিশুদের মধ্যে বিভিন্ন বয়সের সহপাঠীদের সঙ্গে কাজ করার সময় সাধারণত বেশি অনুপ্রেরণা দেখা যায় <ref name=":162" />। ছোটরা বড়দের একজন মেন্টর এবং জ্ঞানের উৎস হিসেবে দেখে, আর বড়রা একটি পরিপক্বতা এবং দায়িত্ববোধ অনুভব করে তাদের জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা ছোটদের সঙ্গে ভাগাভাগি করার <ref name=":162" />। এই ধরনের আলোচনায় শিক্ষার্থীরা এমন ভাষা ব্যবহার করার চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয় যা অন্যদের বোধগম্য হয় <ref name=":162" />। একটি প্রচলিত উদাহরণ হলো কানাডীয় বিদ্যালয়গুলোর “বড় বন্ধু” প্রোগ্রাম। এখানে উচ্চ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নিম্ন শ্রেণির একজন শিক্ষার্থীকে বছরের জন্য সহায়তা করার জন্য নিযুক্ত করা হয়। বড় বন্ধুরা ছোট বন্ধুদের প্রকল্প, পরামর্শ বা স্কুল ইভেন্টে সাহায্য করতে পারে। এই প্রোগ্রামগুলো কার্যকর কারণ ছোটরা তাদের বড় বন্ধুদের অনুসরণ করে এবং বড়রা তাদের ছোটদের সহায়তা করতে একটি দায়িত্ববোধ অনুভব করে। হ্যাটি (২০০৬) বলেছেন, এই আলোচনা অবশ্যই একজন শিক্ষকের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত অত্যন্ত সংগঠিত কার্যক্রম হওয়া উচিত। এটিতে শিক্ষার্থীরা তাদের দায়িত্ব সম্পর্কে স্পষ্ট থাকে <ref name=":162" />।
==== শ্রেণিকক্ষের পরিবেশ ====
একটি শ্রেণিকক্ষ যেখানে শিক্ষার্থীরা প্রশ্ন করতে এবং তাদের ধারণা ভাগ করতে নিরাপদ বোধ করে, তা সমালোচনামূলক চিন্তাকে উৎসাহিত করার জন্য অত্যন্ত মূল্যবান। গবেষণায় দেখা গেছে, যখন শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষের সংগঠন ও কার্যক্রম পরিকল্পনায় অংশগ্রহণ করতে পারে, তখন তারা সমালোচনামূলক চিন্তার প্রতি বেশি ঝোঁক দেখায় <ref name=":143" />। এমন শ্রেণিকক্ষে শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষের কার্যপদ্ধতি নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় সক্রিয়ভাবে অন্তর্ভুক্ত করতে উৎসাহিত করেন <ref name=":143" />। একই সঙ্গে, শিক্ষকদের উচিত কাঙ্ক্ষিত ধরণের সমালোচনামূলক চিন্তন নিজেরাই প্রদর্শন করা, যেমন নিজের সিদ্ধান্ত বা কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত নিয়ে সম্মানজনক ও যথাযথভাবে প্রশ্ন তোলা <ref name=":143" />। গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব শ্রেণিকক্ষে শিক্ষকরা উৎসাহী এবং প্রতিক্রিয়াশীল, সেখানে শিক্ষার্থীদের জ্ঞানগত সম্পৃক্ততা তুলনামূলকভাবে বেশি <ref>Garcia, T., & Pintrich, P. R. (1992). Critical Thinking and Its Relationship to Motivation, Learning Strategies, and Classroom Experience. 2-30.</ref>। তাই, শিক্ষকদের উচিত উৎসাহব্যঞ্জক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক হওয়া এবং সম্ভব হলে শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষ পরিকল্পনায় অংশগ্রহণ করতে দেওয়া।
=== সমালোচনামূলক প্রশ্ন ===
গবেষণা ক্রমেই সমর্থন করছে যে সমালোচনামূলক চিন্তা সরাসরি শেখানো সম্ভব <ref name=":7">Halpern, D. F. (2013). Thought and Knowledge: An Introduction to Critical Thinking. Psychology Press.</ref>। শিক্ষায় সমালোচনামূলক প্রশ্নের ব্যবহার বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই প্রশ্নগুলো শেখানোর মাধ্যমে শিক্ষকরা সমালোচনামূলক চিন্তার প্রক্রিয়া দৃশ্যমানভাবে মডেল করেন। শিক্ষায় সমালোচনামূলক চিন্তা শেখানোর অন্যতম সমস্যা হলো শিক্ষার্থীরা কেবল শিক্ষকের সিদ্ধান্ত দেখে, অর্থাৎ তারা দেখতে পায় না যে কীভাবে শিক্ষক এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন <ref name=":182" />। একজন অভিজ্ঞ চিন্তাবিদ অবশ্য প্রশ্ন করে, কিন্তু এই প্রশ্নগুলো সাধারণত মুখে উচ্চারণ করা হয় না। কিন্তু শিক্ষার্থীরা যদি সমালোচনামূলক প্রশ্ন ও চিন্তার কৌশল শিখতে চায়, তাহলে তাদের সেই চিন্তার প্রক্রিয়া দেখতে হবে। প্রশ্ন তৈরির ও তার ধারাবাহিকতা দেখিয়ে চিন্তার ধারাটি বোঝানো সম্ভব।
সমালোচনামূলক প্রশ্ন শেখানোর বিভিন্ন পদ্ধতি আছে। নিচে আলোচিত কাঠামোগুলো সবচেয়ে সুপরিচিত। প্রতিটি কাঠামোর নিজস্ব শক্তি ও দুর্বলতা রয়েছে ব্যবহারযোগ্যতা, জটিলতা এবং সার্বজনীনতার দিক থেকে। প্রতিটি পদ্ধতি সমালোচনামূলক চিন্তাকে আলাদা সংজ্ঞায় সংজ্ঞায়িত করে। ফলে একজন ব্যক্তির সমালোচনামূলক চিন্তার সংজ্ঞা তার নির্দিষ্ট কাঠামোর প্রতি গ্রহণযোগ্যতাকে প্রভাবিত করতে পারে।
[[চিত্র:Sócrates.jpeg|alt= Socrates|থাম্ব|Socrates]]
==== সক্রেটীয় পদ্ধতি ====
পশ্চিমা দৃষ্টিভঙ্গিতে সমালোচনামূলক চিন্তার একটি মূল বৈশিষ্ট্য হলো সমালোচনামূলক প্রশ্নের গুরুত্ব। এটি প্রাচীন গ্রিক সক্রেটীয় পদ্ধতির সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হোক বা নতুন প্রশ্ন তৈরি করা হোক—সমালোচনামূলক চিন্তা সব সময় প্রশ্নের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত, তা স্পষ্ট বা অদৃশ্য, সচেতন বা অসচেতন <ref name=":62" />। ব্রাউন ও কিলি (২০০৬) তাদের সমালোচনামূলক চিন্তার সংজ্ঞা সম্পূর্ণরূপে প্রশ্নের অন্তর্ভুক্তির উপর ভিত্তি করে গড়ে তুলেছেন <ref>Browne, M. N., & Keeley, S. M. (2006). Asking the Right Questions: A Guide to Critical Thinking (8th ed.). Upper Saddle River, N.J: Prentice Hall.</ref>।
সমালোচনামূলক প্রশ্নের উত্তর সব সময় পরীক্ষণযোগ্য নয়। এগুলো যুক্তিপূর্ণ হতে পারে, কিন্তু তারপরও বিকল্প মতামতের অধীন, ফলে সব মতই একযোগে ব্যক্তিগত ও বাস্তবিক হতে পারে। এল্ডার ও পল (২০০৯) এই প্রশ্নগুলোকে তিনটি শ্রেণিতে ভাগ করেছেন <ref name=":52" />:
# এমন প্রশ্ন যেগুলোর সঠিক উত্তর আছে এবং তা জ্ঞান দিয়ে নির্ধারণ করা যায়
# এমন প্রশ্ন যেগুলোর উত্তর ব্যক্তিনির্ভর এবং বিচার করা যায় না
# এমন প্রশ্ন যেগুলো যৌক্তিক এবং প্রমাণভিত্তিক যুক্তি দিয়ে বিচার করা যায়
সমালোচনামূলক প্রশ্ন সম্পর্কিত বইগুলো মূলত সক্রেটীয় পদ্ধতিতে প্রভাবিত এবং ‘ভালো’ ও ‘খারাপ’ প্রশ্নের মধ্যে পার্থক্য করে। ভালো প্রশ্ন হলো যেগুলো প্রাসঙ্গিক এবং যুক্তিনিষ্ঠ, আর খারাপ প্রশ্ন হলো অপ্রাসঙ্গিক, অগভীর এবং এলোমেলোভাবে সাজানো <ref name=":33" /><ref name=":62" />। এল্ডার ও পল (২০০৯) বলেন, “একজন ভালো চিন্তাবিদ এবং খারাপ প্রশ্নকারী একই ব্যক্তি হতে পারে না।”<ref>Elder, L., & Paul, R. (2009). The Art of Asking Essential Questions (5th Edition). Dillon Beach, CA: Foundation for Critical Thinking. p. 3.</ref> অর্থাৎ, কেউ যদি প্রাসঙ্গিক ও যৌক্তিক প্রশ্ন তৈরি করতে না পারে, তবে সে যুক্তিসংগত সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারবে না।
উপরন্তু, শুধুমাত্র সঠিক প্রশ্ন করাই যথেষ্ট নয়। সমালোচনামূলক চিন্তার সঙ্গে জ্ঞানের একটি সরাসরি সম্পর্ক আছে <ref name=":7" />। কেউ হয়তো জ্ঞান রাখে, কিন্তু তা প্রয়োগ করতে জানে না। আবার কেউ প্রশ্ন করতে দক্ষ, কিন্তু সেই উত্তরের গুণমান বিচার করার জন্য প্রয়োজনীয় জ্ঞান নেই।
সক্রেটীয় পদ্ধতিতে সমালোচনামূলক প্রশ্ন শেখানোর ক্ষেত্রে বোঝা গুরুত্বপূর্ণ যে, এখানে কোনো নির্দিষ্ট প্রশ্নের সেট নেই। কারণ প্রয়োজনীয় প্রশ্নগুলো নির্ভর করে প্রাসঙ্গিক প্রেক্ষাপটের উপর। তাই বিভিন্ন লেখক যেসব উদাহরণ দেন, তা একে অপরের থেকে যথেষ্ট আলাদা। তবু কিছু সাধারণ নির্দেশনা অনুসরণ করা যায় <ref>Micarelli, A., Stamper, J., & Panourgia, K. (2016). Intelligent Tutoring Systems: 13th International Conference, ITS 2016, Zagreb, Croatia, June 7-10, 2016. Proceedings. Springer.</ref>:
# পরিস্থিতি, বিষয়বস্তু, মতামত এবং সিদ্ধান্ত চিহ্নিত করতে ও বুঝতে প্রশ্ন ব্যবহার করা
# অনুমান, অস্পষ্টতা, দ্বন্দ্ব, বা বিভ্রান্তি খুঁজে বের করতে প্রশ্ন করা
# ধারণাগুলোর প্রভাব মূল্যায়নে প্রশ্ন ব্যবহার করা
সক্রেটীয় পদ্ধতির প্রথম অংশ হলো তথ্য সংগ্রহ। এখানে প্রশ্ন করে গুরুত্বপূর্ণ বিশদ জানা যায়, ধারণা স্পষ্ট হয়, এবং উদ্দেশ্য নির্ধারণ করা যায়। দ্বিতীয় অংশে প্রথম অংশের তথ্য ব্যবহার করে ধারণার যথার্থতা যাচাইয়ের জন্য গভীর বিশ্লেষণ করা হয়। তৃতীয় অংশে প্রশ্নের মাধ্যমে ধারণাগুলোর ফলাফল নিয়ে চিন্তা করা হয়।
কনকলিন (২০১২) এই তিন অংশকে ছয় ভাগে ভাগ করেছেন <ref name=":8">Conklin, W., & Teacher Created Materials. (2012). Strategies for Developing Higher-Order Thinking Skills, Grades 6 - 12. Shell Education.</ref>:
# বোঝার জন্য প্রশ্ন করা
# অনুমান নির্ধারণের জন্য প্রশ্ন করা
# কারণ / প্রমাণ খুঁজে বের করার জন্য প্রশ্ন করা
# দৃষ্টিভঙ্গি নির্ধারণের জন্য প্রশ্ন করা
# ফলাফল নির্ধারণে প্রশ্ন করা
# প্রদত্ত প্রশ্নটির মূল্যায়নে প্রশ্ন করা
প্রতিটি অংশের জন্য কিছু নমুনা প্রশ্ন এখানে দেওয়া হলো:<ref><nowiki>http://www.janinesmusicroom.com/socratic-questioning-part-i-the-framework.html</nowiki></ref>
বোঝার জন্য প্রশ্নসমূহ:
* আপনি তা কেন ভাবছেন?
* আপনি এই বিষয়ে এতদূর কী পড়েছেন?
* এটি আপনি এখন যা পড়ছেন তার সাথে কীভাবে সম্পর্কিত?
ধারণা নির্ধারণকারী প্রশ্নসমূহ:
* আপনি কীভাবে এই ধারণাটি যাচাই করতে পারেন?
* আর কী ধরা যেতে পারে?
* এ বিষয়ে আপনার মত কী? আপনি কি একমত, না কি অসম্মত?
কারণ / প্রমাণ আবিষ্কারের প্রশ্নসমূহ:
* আপনি কীভাবে নিশ্চিত হতে পারেন?
* এটা কেন ঘটছে?
* আপনার মতকে সমর্থন করার জন্য আপনার কাছে কী প্রমাণ আছে?
দৃষ্টিভঙ্গি নির্ধারণকারী প্রশ্নসমূহ:
* আপনি এই যুক্তিটিকে আরেকভাবে কীভাবে দেখতে পারেন?
* কোন দৃষ্টিভঙ্গিটি ভালো?
পরিণতি নির্ধারণকারী প্রশ্নসমূহ:
* এটি আপনার উপর কী প্রভাব ফেলে?
* এর কী প্রভাব রয়েছে?
কোন প্রশ্ন মূল্যায়নের জন্য প্রশ্নসমূহ:
* আমাকে এই প্রশ্নটি কেন জিজ্ঞাসা করা হয়েছে?
* কোন প্রশ্নগুলো সবচেয়ে আকর্ষণীয় উত্তর দিয়েছে?
* আর কী প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা উচিত?
লেখার ওপর নির্ভর করে, সক্রেটিক পদ্ধতি অত্যন্ত জটিল হতে পারে। এটি শিক্ষকদের জন্য এটি প্রয়োগ করাকে চ্যালেঞ্জিং করে তোলে। কনক্লিন (২০১২) বলেন, একজন শিক্ষককে এই ধরনের প্রশ্ন আগেই পরিকল্পনা করতে হবে, পাঠ চলাকালীন তাৎক্ষণিকভাবে তৈরি করার উপর নির্ভর না করে <ref name=":82" />।
[[চিত্র:Blooms_rose.svg|alt= Bloom's Taxonomy|থাম্ব|Bloom's Taxonomy]]
==== ব্লুম’স ট্যাক্সোনমি ====
ব্লুম’স ট্যাক্সোনমি প্রথম তৈরি হয় ১৯৫৬ সালে, শিক্ষার্থীদের উচ্চস্তরের চিন্তাভাবনা মূল্যায়নের জন্য এবং জ্ঞানমূলক শিক্ষাগত লক্ষ্য নির্ধারণের উদ্দেশ্যে <ref>Bloom, B. S., Krathwohl, D. R., & Masia, B. B. (1984). Taxonomy of educational objectives: the classification of educational goals. Longman.</ref>। পরবর্তীতে এটি রূপান্তরিত হয়ে সমালোচনামূলক চিন্তনের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য একটি কার্যকরী সরঞ্জাম হয়ে ওঠে, বিশেষ করে সমালোচনামূলক প্রশ্নের মাধ্যমে <ref>Blosser, P. E. (1991). How to Ask the Right Questions. NSTA Press.</ref>। এই সমালোচনামূলক প্রশ্নগুলো ব্লুম’স শ্রেণিবিন্যাসের বোঝা, প্রয়োগ, বিশ্লেষণ, সংকলন এবং মূল্যায়ন পর্যায়ের সাথে সম্পর্কিত। এই শ্রেণিগুলো সক্রেটিক পদ্ধতির সাথে মিল খুঁজে পাওয়া যায়, যেমন বোঝা, বিশ্লেষণ এবং মূল্যায়নের জন্য প্রশ্ন করার গুরুত্ব। মুন (২০০৭) মনে করেন, “মূল্যায়ন”, “প্রতিফলন” এবং “বোঝা” সমালোচনামূলক চিন্তনের মূল উপাদান <ref name=":03" />। এটি সমালোচনামূলক চিন্তার ধারণায় অবশ্যই অন্তর্ভুক্ত হওয়া উচিত। একই সময়ে, ব্লুম’স ট্যাক্সোনমি একটি স্বাভাবিক প্রশ্নমালা তৈরি করে যা বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে মানিয়ে নেওয়া যায় <ref>Wang, J.-F., & Lau, R. (2013). Advances in Web-Based Learning -- ICWL 2013: 12th International Conference, Kenting, Taiwan, October 6-9, 2013, Proceedings. Springer.</ref>।
একটি উদাহরণ হিসেবে, একজন শিক্ষক নিউইয়র্কের একটি স্পিকইজি বারের ছবি ব্যবহার করেন। ব্লুম’স ট্যাক্সোনমি ব্যবহার করে শিক্ষক নিম্নলিখিত সমালোচনামূলক প্রশ্নগুলো করতে পারেন এবং তার মডেল দিতে পারেন <ref name=":34" />:
# জ্ঞান: আপনি ছবিতে কী দেখছেন?
# অনুধাবন: এই ধরনের জায়গায় মানুষ কী করে?
# বিশ্লেষণ: ছবিতে এত পুলিশ কেন আছে?
# প্রয়োগ: বর্তমানে আমরা এ ধরনের কোন পরিস্থিতি দেখতে পাই?
# সংকলন: যদি এমন আচরণ নিষিদ্ধকারী কোনো আইন না থাকতো?
# মূল্যায়ন: আপনি যদি এই লোকগুলোর একজন হতেন, তাহলে কেমন অনুভব করতেন? কেন?
[[চিত্র:Depth_of_Knowledge.png|alt=Norman Webb's Depth of Knowledge|থাম্ব|Norman Webb's Depth of Knowledge]]
==== নরম্যান ওয়েবের জ্ঞানের গভীরতা (ডিওকে) ====
ওয়েবের জ্ঞানের গভীরতা (ডিওকে) ট্যাক্সোনমি তৈরি হয় ২০০২ সালে ব্লুম’স ট্যাক্সোনমির প্রতিক্রিয়া হিসেবে <ref name=":9">Gregory, G., & Kaufeldt, M. (2015). The Motivated Brain: Improving Student Attention, Engagement, and Perseverance. ASCD.</ref>। ব্লুম’স ট্যাক্সোনমির সাথে এর বিপরীতে, ওয়েবের ডিওকে চিন্তাভাবনাকে মূল্যায়ন করে তার জটিলতার দিক থেকে, কেবলমাত্র কষ্টসাধ্যতার ভিত্তিতে নয় <ref name=":9" />।
ওয়েবের ডিওকের চারটি স্তর:
# স্মরণ ও পুনরুৎপাদন
# দক্ষতা ও ধারণার সাথে কাজ করা
# স্বল্পমেয়াদী কৌশলগত চিন্তাভাবনা
# বিস্তৃত কৌশলগত চিন্তাভাবনা
স্তর ১ ব্লুম’স ট্যাক্সোনমির তথ্য মনে রাখা এবং পুনরায় স্মরণ করার স্তরের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ। এই স্তরের সমালোচনামূলক প্রশ্ন হতে পারে:
* মূল চরিত্রের নাম কী?
* অলিভার টুইস্ট ফ্যাজিনকে কী জিজ্ঞাসা করেছিল?
স্তর ২-এ বিভিন্ন দক্ষতা অন্তর্ভুক্ত যেমন শ্রেণিবিন্যাস, তুলনা, পূর্বাভাস, তথ্য সংগ্রহ ও উপস্থাপন। এসব দক্ষতা থেকে নিচের প্রশ্নগুলো আসতে পারে:
* এই দুটি ধারণার মধ্যে কী মিল-অমিল?
* আপনি কীভাবে এই বস্তুগুলো শ্রেণিবিন্যাস করবেন?
* আপনি কীভাবে এই পাঠের সারাংশ তৈরি করবেন?
স্তর ৩ বিশ্লেষণ ও মূল্যায়নের সাথে সম্পর্কিত। এটি আবার ব্লুম’স ট্যাক্সোনমির সাথে মিলে যায়।
* আপনি কী সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেন?
* এটি ব্যাখ্যা করতে আপনি কী তত্ত্ব দাঁড় করাতে পারেন?
* সবচেয়ে ভালো উত্তর কোনটি? কেন?
একই সময়ে, ডিওকের স্তর ৩ সক্রেটিক পদ্ধতির সাথে মিল খুঁজে পায় কারণ এখানে ব্যক্তিকে নিজের মত পক্ষে যুক্তি ও প্রমাণ দিয়ে কথা বলতে হয়।
স্তর ৪ হলো সবচেয়ে জটিল এবং চ্যালেঞ্জিং। এটি আন্তঃবিষয়ক সংযোগ তৈরি করা এবং নতুন ধারণা / সমাধান তৈরি করার উপর জোর দেয়।
যেহেতু ডিওকে প্রতিটি স্তরে আরও জটিল হয়ে ওঠে এবং যুক্তি ও প্রমাণ ব্যবহার করে নিজ অবস্থান সমর্থনের প্রয়োজন পড়ে, এটি সক্রেটিক পদ্ধতির সাথে সাদৃশ্য তৈরি করে। একই সাথে, যেহেতু এটি সমালোচনামূলক চিন্তা মূল্যায়নের মান নির্ধারণে ব্যবহৃত হয়, এটি ব্লুম’স ট্যাক্সোনমির সাথে সাদৃশ্যযুক্ত।
==== উইলিয়ামস মডেল ====
[[চিত্র:KWL_Chart.jpg|alt= The KWL method shares some similarities to the 'wonder' aspect of the Williams Model|থাম্ব|কেডব্লিউএল পদ্ধতিটি উইলিয়ামস মডেলের 'বিস্ময়কর' দিকের সাথে কিছু মিল ভাগ করে নেয়।]]
উইলিয়ামস মডেলটি ফ্র্যাঙ্ক উইলিয়ামস ১৯৭০-এর দশকে তৈরি করেন <ref name=":82" />। অন্যান্য পদ্ধতির এর বিপরীতে, উইলিয়ামস মডেল তৈরি করা হয়েছিল সৃজনশীল চিন্তাভাবনা উৎসাহিত করার জন্য সমালোচনামূলক প্রশ্ন ব্যবহার করে <ref name=":82" />। এই মডেল নিম্নলিখিত উপাদানগুলো নিয়ে গঠিত:
* সাবলীলতা
* নমনীয়তা
* বিস্তারিততা
* মৌলিকতা
* কৌতূহল
* ঝুঁকি নেওয়া
* জটিলতা
* কল্পনাশক্তি
সাবলীলতা সংক্রান্ত সমালোচনামূলক প্রশ্নগুলো এক ধরনের ব্রেইনস্টর্মিং এর মতো। এখানে প্রশ্নগুলো ধারণা ও বিকল্প উত্পন্ন করার জন্য তৈরি করা হয় <ref name=":82" />। ‘নমনীয়তা’র প্রশ্ন বিদ্যমান ধারণার বিভিন্ন রূপ উত্পন্ন করে। ‘বিস্তার’ প্রশ্ন বিদ্যমান ধারণার উপর নির্মাণ করে এবং বিস্তারিততা বাড়ায়। ‘মৌলিকতা’ প্রশ্ন নতুন ধারণা তৈরির দিকে পরিচালিত করে। কৌতূহল সম্পর্কিত অংশ KWL পদ্ধতির ‘Wonder’ ধাপের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ <ref>Carol, K., & Sandi, Z. (2014). Q Tasks, 2nd Edition: How to empower students to ask questions and care about answers. Pembroke Publishers Limited.</ref>। ‘ঝুঁকি নেওয়া’ প্রশ্ন পরীক্ষামূলক চিন্তা উসকে দেয়। যদিও ‘জটিলতা’ শব্দটি ‘বিস্তার’-এর মতো শোনায়, এটি বিশৃঙ্খলার মধ্যে থেকে ক্রম বের করা, সংযোগ তৈরি করা, এবং তথ্যের ঘাটতি পূরণের বিষয়ে। সর্বশেষ উপাদান হলো ‘কল্পনা’। এটি প্রশ্ন ব্যবহার করে কল্পনাশক্তির মাধ্যমে ভাবতে সহায়তা করে।
[[চিত্র:Wiggins_&_McTighe’s_Six_Facets_of_Understanding_.png|alt=Wiggins & McTighe’s Six Facets of Understanding|থাম্ব|উইগিন্স এবং ম্যাকটাইগের বোঝাপড়ার ছয়টি দিক]]
==== উইগিন্স ও ম্যাকটাই-এর ছয়টি অনুধাবন দিক ====
উইগিন্স ও ম্যাকটাই-এর ‘ছয়টি অনুধাবনের দিক’ সমালোচনামূলক চিন্তার গভীর অনুধাবনের উপর ভিত্তি করে তৈরি <ref name=":10">Doubet, K. J., & Hockett, J. A. (2015). Differentiation in Middle and High School: Strategies to Engage All Learners. ASCD.</ref>। এই পদ্ধতি শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের জন্য প্রশ্ন তৈরি করতে ব্যবহার করেন। এটি সমালোচনামূলক চিন্তনকে উৎসাহ দেয় <ref name=":10" />। এই ছয়টি দিক হলো: ব্যাখ্যা, ব্যাখ্যাত্মকতা, প্রয়োগ, দৃষ্টিভঙ্গি, সহানুভূতি এবং আত্ম-জ্ঞান <ref name=":11"><nowiki>http://www.educ.kent.edu/fundedprojects/tspt/units/sixfacets.htm</nowiki></ref>।
‘ব্যাখ্যা’ দিকটিতে ‘কেন’ এবং ‘কীভাবে’ প্রশ্নগুলো আধিপত্য করে। এটি তত্ত্ব এবং যুক্তি তৈরি করতে সহায়ক <ref name=":12">McTighe, J., & Wiggins, G. (2013). Essential Questions: Opening Doors to Student Understanding (1st ed.). Alexandria, Va. USA: Association for Supervision & Curriculum Development.</ref>:
* এটা কীভাবে ঘটল? আপনি কেন তাই মনে করেন?
* এটি অন্য তত্ত্বের সাথে কীভাবে সংযুক্ত?
ব্যাখ্যাত্মক প্রশ্নগুলো ‘পাঠের ভিতরে’ পড়া, উপমা বা রূপক তৈরি করা এবং ধারণাকে ব্যাখ্যা করার জন্য লিখিত বা চিত্রিত পরিস্থিতি তৈরি করতে সাহায্য করে। উদাহরণস্বরূপ:
* আপনি কীভাবে এই ধারণাটি অন্যভাবে ব্যাখ্যা করবেন?
* আপনি কেন মনে করেন, উভয় পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব আছে?
* এটি জানা কেন গুরুত্বপূর্ণ?
প্রয়োগ সম্পর্কিত প্রশ্নগুলো জ্ঞান প্রয়োগ করার বিষয়ে। এর একটি অংশ পূর্বানুমান নির্ভর করে পূর্ব অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে এবং আরেকটি অংশ অতীত থেকে শেখার বিষয়।
* আমরা কীভাবে এটি আবার ঘটতে দেওয়া থেকে বিরত থাকতে পারি?
* আপনি কী মনে করেন, পরবর্তীতে কী হবে?
* এটি কীভাবে কাজ করে?
দৃষ্টিভঙ্গি প্রশ্নগুলো অন্যের দৃষ্টিভঙ্গি বোঝা এবং তাদের দৃষ্টিভঙ্গির বিশ্লেষণ ও সমালোচনার দিকে মনোনিবেশ করে <ref name=":11" />। উদাহরণস্বরূপ:
* এই বিষয়ে বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি কী কী?
* কবিতায় কে কথা বলছে?
* কার দৃষ্টিভঙ্গি এখানে প্রকাশিত হয়েছে?
* অন্য একজনের দৃষ্টিতে এটি কীভাবে দেখাত?
সহানুভূতিমূলক প্রশ্নগুলো অন্যের অবস্থান অনুধাবনের মাধ্যমে মনের উন্মুক্ততা তৈরি করে, যেন অন্যের জায়গায় নিজেকে কল্পনা করা যায়।
* আপনি যদি একই অবস্থায় থাকতেন, তাহলে কেমন অনুভব করতেন?
* ঐ পরিস্থিতিতে বাস করলে কেমন হতো?
* কেউ যদি আপনার পরিবারের সাথে এটা করত, আপনি কীভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাতেন?
আত্ম-জ্ঞানভিত্তিক প্রশ্নগুলো আত্ম-অনুধাবনের দিকে পরিচালিত করে এবং নিজের পক্ষপাত, মূল্যবোধ এবং পূর্বাগ্রহগুলো চিনতে সাহায্য করে যা অন্যদের বিচার করার সময় প্রভাব ফেলে <ref name=":11" />। উদাহরণস্বরূপ:
* আমার জীবন এই বিষয়ে আমার দৃষ্টিভঙ্গিকে কীভাবে গঠন করেছে?
* আমি আসলে ঐ সম্প্রদায়ের মানুষের জীবনের সম্পর্কে কী জানি?
* আমি কী জ্ঞান বা অভিজ্ঞতার ঘাটতি অনুভব করি?
* আমি যেটা জানি, তা কোথা থেকে এল? সেই তথ্য বা ধারণার উৎস কী?
‘ছয়টি অনুধাবন দিক’-এর মধ্যে থাকা সমস্ত প্রশ্নের বৈশিষ্ট্য নিম্নরূপ <ref name=":12" />:
# সেগুলো উন্মুক্ত
# গভীর চিন্তার প্রয়োজন
# সমালোচনামূলক চিন্তন জরুরি
# জ্ঞান হস্তান্তরকে উৎসাহ দেয়
# এগুলো অনুস্মারক প্রশ্ন তৈরি করে
# এর উত্তর প্রমাণ সহ প্রতিষ্ঠিত হতে হয়
একটি শ্রেণিকক্ষ পরিবেশে সমালোচনামূলক প্রশ্ন প্রয়োগের উদাহরণ দেখতে চাইলে, এই পাতার নিচের বহিঃসংযোগ অংশে দেখুন।
= সমস্যা সমাধান =
প্রতিদিনের জীবনে আমরা নানা সমস্যায় ঘেরা থাকি, যেগুলোর সমাধান আমাদের লক্ষ্য পূরণে গুরুত্বপূর্ণ এবং আমাদের মনোযোগ দাবি করে <ref name=":20">Bruning, G.J. Schraw & M.M. Norby (2011) Cognitive Psychology and Instruction (5th Ed). New York: Pearson.</ref>। আমরা এমন সমস্যার মুখোমুখি হতে পারি যেমন: কর্মস্থলে পৌঁছানোর জন্য সেরা রুট নির্ধারণ করা, ইন্টারভিউয়ের জন্য কী পরা উচিত, একটি যুক্তিভিত্তিক প্রবন্ধে ভালো করা, অথবা একটি দ্বিঘাত সমীকরণের সমাধান খুঁজে বের করা। একটি পরিস্থিতিকে সমস্যা হিসেবে বিবেচনা করা হয় যখন সেই সমস্যার সমাধান চাওয়া হয়, কিন্তু সমাধানটি সমাধানকারী ব্যক্তির কাছে স্পষ্ট নয় <ref>Anderson, J. R. Cognitive Psychology and Its Implications. New York: Freeman, 1980</ref>। '''<u>সমস্যা সমাধান</u>''' হচ্ছে এই সমস্যাগুলোর সমাধান খুঁজে বের করার প্রক্রিয়া <ref name=":21">Mayer, R. E., & Wittrock, R. C. (2006). Problem solving. In P. A. Alexander & P. H. Winne (Eds.), Handbook of educational psychology (2nd ed., pp. 287–304). Mahwah, NJ: Erlbaum.</ref>। '''''যদিও এরা সম্পর্কিত, সমালোচনামূলক চিন্তন মূলত সমস্যা সমাধানের চেয়ে আলাদা। সমালোচনামূলক চিন্তা একটি প্রক্রিয়া যা সমস্যা সমাধানে প্রয়োগ করা যেতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, শিক্ষার্থীরা এমন অনির্দিষ্ট সমস্যার মুখোমুখি হলে সমালোচনামূলক চিন্তায় জড়িয়ে পড়তে পারে যেখানে অনেক বিকল্প বা সম্ভাব্য উত্তর বিবেচনা করতে হয়। মূলত। এরা সমালোচনামূলকভাবে চিন্তা করতে সক্ষম, তারা কার্যকরভাবে সমস্যা সমাধান করতে সক্ষম <ref>Snyder, M. J., & Snyder, L. G. (2008). Teaching critical thinking and Problem solving skills. Delta Pi Epsilon Journal, L(2), 90-99.</ref>।'''''
[[চিত্র:T_vs_PBL.png|থাম্ব|সমস্যাভিত্তিক শেখা ঐতিহ্যবাহী ধারার চেয়ে আলাদা। কারণ এটি শিক্ষার্থীদের একটি প্রশ্নের সমাধানের দিকে মনোনিবেশ করতে সহায়তা করে।]]
এই অধ্যায়ে প্রথমে ''[[চিন্তন ও নির্দেশনা/সমস্যা সমাধান, সমালোচনামূলক চিন্তন ও যুক্তি#শব্দকোষ Well-defined Problems|সুস্পষ্ট সমস্যা]]'' এবং ''[[চিন্তন ও নির্দেশনা/সমস্যা সমাধান, সমালোচনামূলক চিন্তন ও যুক্তি#শব্দকোষ Ill-defined Problems|অনির্দিষ্ট সমস্যা]]'' এর মধ্যে পার্থক্য করা হবে, এরপর সমস্যাগুলোর ধারণা তৈরি ও চিত্রায়নের ব্যবহার আলোচনা করা হবে এবং শেষে মানসিক স্থবিরতা কীভাবে সফল সমস্যা সমাধানে বাধা হতে পারে তা ব্যাখ্যা করা হবে।
=== সুস্পষ্ট ও অনির্দিষ্ট সমস্যা ===
সমস্যাগুলোকে সাধারণত দুটি ধরনের মধ্যে ভাগ করা যায়: অনির্দিষ্ট অথবা সুস্পষ্ট <ref name=":20" />। একটি সুস্পষ্ট সমস্যার উদাহরণ হতে পারে একটি বীজগাণিতিক সমস্যা (যেমন: ২x - ২৯ = ৭)। এখানে x-এর মান বের করতে হবে। আরেকটি উদাহরণ হতে পারে একটি টার্কির ওজন কিলোগ্রাম থেকে পাউন্ডে রূপান্তর করা। উভয় ক্ষেত্রেই এটি সুস্পষ্ট সমস্যা হিসেবে বিবেচিত হয় কারণ এখানে একটি নির্দিষ্ট সমাধান রয়েছে এবং সেই সমাধান খুঁজে পাওয়ার একটি স্পষ্ট পদ্ধতি রয়েছে।
এর বিপরীতে, অনির্দিষ্ট সমস্যা হলো এমন সব সমস্যা যেগুলো আমরা দৈনন্দিন জীবনে মোকাবিলা করি। এখানে লক্ষ্য অস্পষ্ট এবং তথ্যগুলো সাংঘর্ষিক, অসম্পূর্ণ বা অনির্ণীত থাকে <ref name=":22">Voss, J. F. (1988). Problem solving and reasoning in ill-structured domains. In C. Antaki (Ed.), Analyzing everyday explanation: A casebook of methods (pp. 74-93). London: SAGE Publications.</ref>। অনির্দিষ্ট সমস্যার একটি উদাহরণ হতে পারে “জলবায়ু পরিবর্তনের সমাধান কীভাবে করা যায়?” অথবা “দারিদ্র্য নিরসনের উপায় কী হওয়া উচিত?” কারণ এই প্রশ্নগুলোর একক কোনো সঠিক উত্তর নেই। এই সমস্যাগুলোর বিভিন্ন সমাধানের সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ এই সমস্যাগুলোর জন্য কোনো সর্বজনগ্রাহ্য কৌশল নেই। মানুষ এসব সমস্যার সমাধান ভিন্নভাবে করে থাকে, তাদের ধারণা, তত্ত্ব প্রয়োগ বা মূল্যবোধ অনুসারে<ref name=":31">Pretz, J. E., Naples, A. J., & Sternberg, R. J. (2003). Recognizing, defining, and representing problems. In J. E. Davidson and R. J. Sternberg (Eds.), The psychology of problem solving (pp. 3–30). Cambridge, UK: Cam- bridge University Press.</ref>। তদুপরি, প্রতিটি সমাধানের নিজস্ব শক্তি ও দুর্বলতা রয়েছে <ref name=":31" />।
{| border="1"
|+'''অনির্দিষ্ট বনাম সুস্পষ্ট সমস্যা'''
!অনির্দিষ্ট
!সুস্পষ্ট
|-
|বর্তমান অবস্থা স্পষ্ট নয়, লক্ষ্য অস্পষ্ট, অনুমোদিত পদ্ধতির সীমা অনির্দিষ্ট এবং একাধিক সমাধান থাকতে পারে <ref name=":22" />।
|বর্তমান অবস্থা স্পষ্ট, লক্ষ্য স্পষ্টভাবে নির্ধারিত, অনুমোদিত পদ্ধতি নির্দিষ্ট এবং একটি নির্দিষ্ট সমাধান রয়েছে <ref name=":22" />।
|-
|উদাহরণ: আমরা কীভাবে বৈশ্বিক উষ্ণায়নের সমাধান করব?
|উদাহরণ: ৫x = ১০
|-
|''[[চিন্তন ও নির্দেশনা/সমস্যা সমাধান, সমালোচনামূলক চিন্তন ও যুক্তি#শব্দকোষ Argumentation|যুক্তিতর্ক]]'', মনোভাব ও "মেটাকগনিশন" উচ্চ সমস্যা সমাধান স্কোরের পূর্বাভাস দেয় <ref name=":322">Shin, N., Jonassen, D. H., & McGee, S. (2003). Predictors of Well-Structured and Ill-Structured Problem Solving in an Astronomy Simulation. Journal Of Research In Science Teaching, 40(1), 6-33.8</ref>
|বিষয়ভিত্তিক জ্ঞান ও যৌক্তিকতা দক্ষতা সমস্যা সমাধানের স্কোরে প্রভাব ফেলে <ref name=":322" />।
|}
সারণি ১: সুস্পষ্ট এবং অনির্দিষ্ট সমস্যার পার্থক্য সংক্ষেপে উপস্থাপন করে।
==== অনির্দিষ্ট এবং সুস্পষ্ট সমস্যার সমাধানে পার্থক্য ====
প্রাথমিক পর্যায়ে, গবেষকরা মনে করতেন যে উভয় ধরনের সমস্যা একইভাবে সমাধান করা যায় <ref>Simon, D. P. (1978). Information processing theory of human problem solving. In W. K. Estes (Ed.), Handbook of learning and cognitive process. Hillsdale, NJ: Lawrence Erlbau</ref>, তবে আধুনিক গবেষণাগুলো এই সমাধান প্রক্রিয়ায় কিছু উল্লেখযোগ্য পার্থক্য তুলে ধরেছে।
কিচেনার (১৯৮৩) প্রস্তাব করেন, সুস্পষ্ট সমস্যাগুলোতে '''[[চিন্তন ও নির্দেশনা/সমস্যা সমাধান, সমালোচনামূলক চিন্তন ও যুক্তি#শব্দকোষ Epistemological Beliefs|জ্ঞানতাত্ত্বিক বিশ্বাস]]''' সংক্রান্ত কোনো অনুমান থাকে না <ref name=":20" />। কারণ এদের একটি স্পষ্ট এবং নির্দিষ্ট সমাধান থাকে। এখানে অনির্দিষ্ট সমস্যাগুলোর জন্য এই ধরনের বিশ্বাস প্রয়োজন হয় কারণ তাদের একটি স্পষ্ট এবং নির্দিষ্ট সমাধান নেই <ref>Kitchener, K.S., Cognition, metacognition, and epistemic cognition. Human Development, 1983. 26: p. 222-232.</ref>। এই ধারণার সমর্থনে, শ্র, ডাঙ্কল এবং বেন্ডিক্সেন ২০০ অংশগ্রহণকারীর উপর একটি গবেষণা করেন। এখানে তারা দেখতে পান সুস্পষ্ট সমস্যায় পারফর্ম করার দক্ষতা অনির্দিষ্ট সমস্যায় দক্ষতা প্রদর্শনের পূর্বাভাস নয়। কারণ অনির্দিষ্ট সমস্যা জ্ঞানের বিষয়ে ভিন্ন বিশ্বাস সক্রিয় করে <ref>Schraw G., Dunkle, M. E., & Bendixen L. D. (1995). Cognitive processes in well-structured and ill-structured problem solving. Applied Cognitive Psychology, 9, 523–538.</ref>।
শিন, জোনাসেন এবং ম্যাকগি (২০০৩) <ref name=":322" /> আরও দেখেছেন যে অনির্দিষ্ট সমস্যা সমাধানে এমন কিছু দক্ষতা কাজে লাগে যা সুস্পষ্ট সমস্যার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয় না। সুস্পষ্ট সমস্যায় বিষয়ভিত্তিক জ্ঞান এবং যৌক্তিকতা সমস্যা সমাধান স্কোরকে প্রভাবিত করে। এখানে অনির্দিষ্ট সমস্যায় যুক্তিতর্ক, মনোভাব এবং '''<u>মেটাকগনিশন</u>''' বেশি প্রভাব ফেলে।
এই অনুসন্ধানের সাথে সঙ্গতি রেখে, চো এবং জোনাসেন (২০০২) <ref>Cho, K. L., & Jonassen, D. H. (2002) The effects of argumentation scaffolds on argumentation and problem solving. Educational Technology: Research & Development, 50(3), 5-22.</ref> দেখিয়েছেন যে অনির্দিষ্ট সমস্যা সমাধানের জন্য দলগুলো আরও বেশি যুক্তিতর্ক ও সমস্যা সমাধানের কৌশল তৈরি করে কারণ তাদেরকে বিভিন্ন সমাধান ও দৃষ্টিভঙ্গি বিবেচনায় নিতে হয়। এর বিপরীতে, একই যুক্তিতর্ক পদ্ধতি সুস্পষ্ট সমস্যার ক্ষেত্রে অংশগ্রহণকারীদের কার্যক্রমে বিঘ্ন ঘটায়। এই গবেষণা দুটি ধরনের সমস্যার সমাধান প্রক্রিয়ায় মৌলিক পার্থক্য নির্দেশ করে।
===== শ্রেণিকক্ষ পরিবেশের প্রভাব =====
সুস্পষ্ট এবং অনির্দিষ্ট সমস্যার মৌলিক পার্থক্য নির্দেশ করে অনির্দিষ্ট সমস্যা সমাধানের জন্য ভিন্ন ধরনের দক্ষতা, কৌশল ও পন্থা দরকার <ref name=":322" />। অথচ অধিকাংশ শিক্ষাগত কার্যক্রম সুস্পষ্ট সমস্যার সমাধানে শিক্ষার্থীদের যুক্ত করে, যেমন পাঠ্যপুস্তকের শেষে থাকা সমস্যা বা মানসম্পন্ন পরীক্ষাগুলোর প্রশ্ন <ref name=":23">Jonassen, D. H. (2000). Revisiting activity theory as a framework for designing student-centered learning environments. In D. H. Jonassen, S. M. Land, D. H. Jonassen, S. M. Land (Eds.) , Theoretical foundations of learning environments (pp. 89-121). Mahwah, NJ, US: Lawrence Erlbaum Associates Publishers.</ref>। দুর্ভাগ্যজনকভাবে, সুস্পষ্ট সমস্যার জন্য ব্যবহৃত কৌশল বাস্তব জীবনের অনির্দিষ্ট সমস্যার ক্ষেত্রে তেমন কার্যকর নয় <ref>Spiro, R. J., Feltovich, P. J., Jacobson, M. J., & Coulson, R. L. (1992). Cognitive flexibility, constructivism, and hypertext: Random access instruction for advanced knowledge acquisition in ill-structured domains. In T. M. Duffy, D. H. Jonassen, T. M. Duffy, D. H. Jonassen (Eds.) , Constructivism and the technology of instruction: A conversation (pp. 57-75). Hillsdale, NJ, England: Lawrence Erlbaum Associates, Inc.</ref>। কারণ সুস্পষ্ট সমস্যার জন্য ব্যবহৃত সরলীকৃত কৌশলগুলোর বাস্তব জীবনের সমস্যার সাথে প্রায় কোনো মিল নেই <ref name=":23" />
এটি নির্দেশ করে শ্রেণিকক্ষ এমনভাবে পুনর্গঠন করা উচিত যা শিক্ষার্থীদের অনির্দিষ্ট সমস্যার সমাধানে সহায়তা করে। এর একটি উপায় হতে পারে শিক্ষার্থীদের এমন প্রশ্ন জিজ্ঞেস করা যা বাস্তব জীবনের সমস্যার প্রতিফলন করে <ref name=":24">Barrows, H. S. (1996). “Problem-based learning in medicine and beyond: A brief overview.” In L. Wilkerson & W. H. Gijselaers (Eds.), Bringing ''[[চিন্তন ও নির্দেশনা/সমস্যা সমাধান, সমালোচনামূলক চিন্তন ও যুক্তি#শব্দকোষ Problem-Based Learning|Problem-Based Learning]]'' to higher education: Theory and practice (pp. 3-12). San Francisco: Jossey Bass.</ref>। এই পদ্ধতিকে বলা হয় '''<u>সমস্যাভিত্তিক শিক্ষা</u>''' এবং এই শ্রেণিকক্ষ কাঠামোতে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন উৎস থেকে প্রমাণ, তথ্য ও উপাত্ত সংগ্রহ করে প্রশ্নের সমাধান খুঁজে বের করার সুযোগ পায় <ref name=":25">(Barron, B., & Darling-Hammond, L. (2008). Teaching for meaningful learning: A review of research on inquiry-based and cooperative learning. Powerful Learning: What We Know About Teaching for Understanding (pp. 11-70). San Francisco, CA: Jossey-Bass.)</ref>। এতে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি ও ব্যাখ্যা বিবেচনা করে তথ্য বিশ্লেষণ এবং উপস্থাপন শেখে <ref name=":25" />।
====== শ্রেণিকক্ষের কাঠামো ======
সমস্যাভিত্তিক শিক্ষায়, শিক্ষার্থীরা ছোট ছোট দলে কাজ করে যেখানে তারা তাৎপর্যপূর্ণ সমস্যার অনুসন্ধান করে, সমস্যার সমাধানে প্রয়োজনীয় তথ্য চিহ্নিত করে এবং কার্যকর সমাধানের পদ্ধতি নির্ধারণ করে <ref name=":24" />। শিক্ষার্থীরা এই কৌশলগুলো প্রয়োগ করে, তাদের ফলাফল বিশ্লেষণ করে এবং নতুন কৌশল উদ্ভাবন করে যতক্ষণ না তারা কার্যকর সমাধানে পৌঁছায় <ref name=":24" />। এই শ্রেণিকক্ষ কাঠামোতে শিক্ষক শিক্ষণ প্রক্রিয়াকে পরিচালনা করেন, অংশগ্রহণে উৎসাহ দেন এবং শিক্ষার্থীদের বিশ্লেষণ ও সমালোচনামূলক চিন্তা বাড়াতে প্রশ্ন করেন <ref name=":24" />। এছাড়াও শিক্ষকরা প্রথাগত লেকচার এবং ব্যাখ্যা প্রদান করতে পারেন যা শিক্ষার্থীদের অনুসন্ধান ভিত্তিক শিক্ষায় সহায়তা করে <ref name=":24" />।
সমস্যাভিত্তিক শিক্ষার কার্যকারিতা সমর্থনে ডচি, সেজার্স, ভ্যান ডেন বোশে এবং গিজবেলস (২০০৩) পরিচালিত একটি মেটা-বিশ্লেষণ দেখিয়েছে যে সমস্যাভিত্তিক শিক্ষা ঐতিহ্যবাহী শিক্ষার চেয়ে বেশি কার্যকর, বিশেষত নমনীয় সমস্যা সমাধান, জ্ঞানের প্রয়োগ এবং অনুমান তৈরির ক্ষেত্রে <ref>Dochy, F., Segers, M., Van den Bossche, P., & Gijbels, D. (2003). Effects of problembased learning: A meta-analysis. Learning and Instruction, 13, 533–568.</ref>।
অধিকন্তু, উইলিয়ামস, হেমস্ট্রিট, লিউ এবং স্মিথ (১৯৯৮) করেছিলেন যে এই পদ্ধতি বিজ্ঞানে ধারণাগত বোঝাপড়ায় আরও উন্নতি সাধন করে<ref>Williams, D., Hemstreet, S., Liu, M.& Smith, V. (1998). Examining how middle school students use problem-based learning software. Unpublished paper presented at the ED-Media/ED Telecom ‘98 world Conference on Educational Multimedia and Hypermedia & World Conference on Educational Telecommunications, Freiberg, Germany.</ref>। সর্বশেষে গ্যালাঘের, স্টেপিয়েন, এবং রোজেনথাল (১৯৯২) দেখেছেন, প্রচলিত পদ্ধতি বনাম প্রকল্প-ভিত্তিক পদ্ধতির তুলনায়, সমস্যা-ভিত্তিক শিক্ষায় শিক্ষার্থীরা সমস্যাকে সংজ্ঞায়িত করার দক্ষতা প্রদর্শন করে<ref>Gallagher, S. A., Stepien, W. J., & Rosenthal, H. (1992). The effects of problem based learning on problem solving. Gifted Child Quarterly, 36, 195–200. Gertzman, A., & Kolodner, J. L.</ref>। এই গবেষণাগুলি সমস্যা-ভিত্তিক শিক্ষার সুবিধাগুলি তুলে ধরে যা বিজ্ঞানে সমস্যা বোঝা ও সংজ্ঞায়িত করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। সমস্যা সংজ্ঞায়নের ইতিবাচক প্রভাবের পরিপ্রেক্ষিতে, এই শিক্ষাগত পদ্ধতি পরবর্তী উপ-ভাষ্য 'সমস্যার ধারণাকরণ' বিষয়েও প্রযোজ্য হতে পারে।
=== সমস্যা সমাধানের ধাপ ===
সমস্যা সমাধান সংক্রান্ত গবেষণায় সাধারণভাবে পাঁচটি ধাপ চিহ্নিত করা হয়েছে: (১) সমস্যা শনাক্তকরণ, (২) সমস্যা উপস্থাপন, (৩) উপযুক্ত কৌশল নির্বাচন, (৪) কৌশল বাস্তবায়ন, এবং (৫) সমাধান মূল্যায়ন<ref name=":202" />। এই আলোচনা সমস্যার প্রথম দুটি ধাপে গুরুত্ব দেবে এবং বিশ্লেষণ করবে কীভাবে এই ধাপগুলো সমস্যা সমাধানে প্রভাব ফেলে।
[[চিত্র:PBL_Cycle.png|থাম্ব|সমস্যা সমাধানের পাঁচটি ধাপ একটি চক্র তৈরি করে যা শিক্ষার্থীদের সর্বোত্তম সমাধান চিন্তার ধারাকে পরিশোধিত করতে সাহায্য করে।]]
==== সমস্যার ধারণাকরণ ====
সমস্যা সমাধানের সবচেয়ে ক্লান্তিকর এবং কঠিন দিকগুলোর একটি হলো সমস্যাটি শনাক্ত করা। কারণ এটি করতে হলে সমস্যাটিকে বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে বিবেচনা করতে হয় এবং খুব তাড়াতাড়ি কোনো এক নির্দিষ্ট সমাধানে পৌঁছানোর প্রবণতা থেকে বিরত থাকতে হয়<ref name=":212" />। তদুপরি, এটি স্পষ্টভাবে সমস্যা নির্ধারণে সময় ব্যয় করাও গুরুত্বপূর্ণ। কারণ কোনো নির্দিষ্ট সমস্যা 'ধারণা করতে' ব্যয় করা সময় এবং সমাধানের মানের মধ্যে একটি সম্পর্ক রয়েছে<ref name=":202" />।
উদাহরণস্বরূপ, নিম্নোক্ত সমস্যাটি বিবেচনা করুন:
''বেকা তার ওভেনে পঁচিশ মিনিটে একটি চকলেট কেক বানিয়েছে। তাকে তিনটি চকলেট কেক বানাতে কতক্ষণ সময় লাগবে?''
বেশিরভাগ মানুষ ২৫ গুণ ৩ করে সমাধানে পৌঁছাবে, কিন্তু যদি সব কেক একসাথে ওভেনে বসানো হয়, তাহলে দেখা যাবে তিনটি কেক বানাতেও একই সময় লাগবে যত সময় লাগে একটি কেক বানাতে। এই উদাহরণটি সমস্যাটি সঠিকভাবে ধারণা করার প্রয়োজনীয়তাকে তুলে ধরে এবং সমাধানে তাড়াহুড়ো না করে সমস্যাটি বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে দেখার প্রয়োজনীয়তাও নির্দেশ করে।
এটি আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যেতে, সমস্যাটি ধারণা করতে নিচের পাঁচটি ধাপ বিশ্লেষণ করুন:
'''পর্যায় ১ - সমস্যা সংজ্ঞায়িত করা'''
{| class="wikitable"
!লক্ষ্য (আমি চাই...)
!বাধা (কিন্তু...)
|-
|'''একটি নতুন গাড়ি কিনতে চাই।'''
!আমি জানি না কোন মডেলটি সবচেয়ে সাশ্রয়ী।
|-
|'''আরও ব্যায়াম করতে চাই।'''
!আমি জানি না কখন সময় পাব।
|-
|'''ভালো চাকরি পেতে চাই।'''
!আমি জানি না আমাকে কী ধরণের পুনঃপ্রশিক্ষণ নিতে হবে।
|}
'''পর্যায় ২ - সমাধানের জন্য আইডিয়া তৈরি'''
{| class="wikitable"
!সমস্যা
!তথ্য যাচাই
|-
|'''আমার একটি নতুন গাড়ি কেনা দরকার।'''
|'''এতে কত টাকা লাগবে?'''
'''আমি কি সত্যিই গাড়ি প্রয়োজন নাকি গণপরিবহন ব্যবহার করতে পারি?'''
'''নতুন গাড়ি ভালো নাকি পুরনো কেনা ভালো হবে?'''
|}
'''পর্যায় ৩ - একটি সমাধান নির্বাচন করুন'''
{| class="wikitable"
![[চিত্র:Stage_4.png|ফ্রেমহীন]]
|}
'''পর্যায় ৪ - সমাধান বাস্তবায়ন করুন'''
{| class="wikitable"
![[চিত্র:Step_3_-_Problem_Solving.png|ফ্রেমহীন]]
|}
'''পর্যায় ৫ - ফলাফল পর্যালোচনা করুন'''
{| class="wikitable"
!ফলাফল -
নতুন গাড়ি কেনার সিদ্ধান্ত কি সেরা ছিল?
নতুন গাড়ি কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো, টাকা জমিয়ে তা কেনা হলো, এবং একটি সাশ্রয়ী গাড়ি কেনা হলো।
নতুন গাড়ির দাম বেশি ছিল, কিন্তু এটি নির্ভরযোগ্য এবং দীর্ঘসময় পরিবহন হিসেবে কাজ করছে।
সুতরাং, এটি সেরা সমাধান ছিল।
|}
গবেষণাও এই কথাটিকে সমর্থন করে। পরবর্তী ধাপে যাওয়ার আগে সমস্যাটি স্পষ্টভাবে সংজ্ঞায়িত করা জরুরি। এই যুক্তির পক্ষে, গেটজেল এবং সিক্সজেন্টমিহালি দেখেছেন যে যারা চিত্রশিল্পী শিক্ষার্থী তাদের মধ্যে যারা তাদের শিল্পকর্ম তৈরির সময় বেশি সময় সমস্যা চিহ্নিতকরণে ব্যয় করে, তাদের কাজকে অন্যদের তুলনায় বেশি সৃজনশীল এবং মৌলিক হিসেবে মূল্যায়ন করা হয়েছে<ref name=":202" />। গবেষকরা ধারণা করেছেন, তারা এই প্রাথমিক ধাপে অধিক বিকল্প বিবেচনায় নিয়ে আরও মৌলিক ও গতিশীল সমাধানে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছেন।
এছাড়াও, অভিজ্ঞ শিক্ষক এবং নতুন প্রশিক্ষণরত শিক্ষার্থীদের মধ্যে তুলনা করলে দেখা যায় যে, অভিজ্ঞ শিক্ষকরা কল্পিত শ্রেণীকক্ষে পাঠ পরিকল্পনায় তুলনামূলকভাবে বেশি সময় ব্যয় করেন<ref name=":202" />। উপরন্তু, তারা উভয় ধরণের সমস্যায় (স্পষ্ট ও অস্পষ্টভাবে সংজ্ঞায়িত) উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি সমাধান প্রস্তাব করতে পেরেছেন। ফলে দেখা যায়, সফল সমস্যা সমাধানের সঙ্গে সঠিক সমস্যা নির্ধারণে সময় ব্যয় এবং বহুবিধ সমাধান বিবেচনার সম্পর্ক রয়েছে।
===== শিক্ষণগত প্রভাব =====
গবেষণালব্ধ তথ্য থেকে একটি শিক্ষণগত ধারণা নেওয়া যায় যে, সমস্যা ধারণায় ব্যয় করা সময় এবং সমাধানের মানের মধ্যে সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে, তাই শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের এই পর্যায়ে যতটা সম্ভব সময় ব্যয় করতে উৎসাহিত করা উচিত<ref name=":202" />। এই জ্ঞান প্রদান করে এবং শিক্ষার্থীদের সমস্যা সমাধানের প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করে নিশ্চিত করা যে তারা সমস্যা ধারণায় “থেমে থাকে”, আমরা কার্যকর সমস্যা সমাধানে সহায়তা করতে পারি<ref name=":202" />।
==== সমস্যার উপস্থাপন ====
''[[চিন্তন ও নির্দেশনা/সমস্যা সমাধান, সমালোচনামূলক চিন্তন ও যুক্তি#শব্দকোষ সমস্যার উপস্থাপন|সমস্যার উপস্থাপন]]'' বলতে কোনো নির্দিষ্ট সমস্যার সম্পর্কিত তথ্য কীভাবে সংগঠিত করা হয় তা বোঝানো হয়<ref name=":202" />। বিমূর্ত উপস্থাপনায় আমরা শুধুমাত্র চিন্তা করি বা কথায় বলি, কোনো দৃশ্যমান উপস্থাপন করি না<ref name=":202" />। সমস্যা উপস্থাপনকে দৃশ্যমান করতে গেলে কাগজ, কম্পিউটার ইত্যাদির মাধ্যমে গল্প, প্রতীক, ছবি, সমীকরণ বা গ্রাফের মাধ্যমে উপস্থাপন করতে হয়। এই দৃশ্যমান উপস্থাপনাগুলি<ref name=":202" /> কার্যকর হতে পারে। কারণ সেগুলি সমাধান এবং ধাপগুলি ট্র্যাক রাখতে সাহায্য করে। এটি জটিল সমস্যায় বিশেষভাবে উপকারী।
[[চিত্র:Bud_Monk_2.png|থাম্ব|ডাঙ্কারের বৌদ্ধ সন্ন্যাসী উদাহরণ।]]
উদাহরণস্বরূপ, যদি আমরা ডাঙ্কারের বৌদ্ধ সন্ন্যাসী উদাহরণটি দেখি<ref name=":202" />:
সকালে একজন বৌদ্ধ সন্ন্যাসী সূর্যোদয়ের সময় পাহাড়ে উঠে মন্দিরে যান। তিনি সূর্যাস্তের ঠিক আগে সেখানে পৌঁছান। কয়েকদিন পর, তিনি সূর্যোদয়ের সময় মন্দির থেকে নামা শুরু করেন এবং উপরের চেয়ে দ্রুত গতিতে নামেন। আপনি কি দেখাতে পারেন এমন একটি স্থান। এখানে তিনি উভয় যাত্রার সময় একই সময়ে পার হয়েছেন?<ref name=":202" />
শুধু বিমূর্ত উপস্থাপন ব্যবহার করলে এই সমস্যাটি সমাধান করা অসম্ভব মনে হয়। কারণ এতে অনেক তথ্য আছে, তা মৌখিকভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে এবং প্রশ্নে অপ্রাসঙ্গিক তথ্যও রয়েছে। দৃশ্যমান উপস্থাপন ব্যবহার করলে আমরা একটি মানসিক চিত্র তৈরি করতে পারি। এখানে দুইটি যাত্রাপথ ছেদ করে এবং সেখানে পৌঁছে একটি কার্যকর সমাধানে আসা সহজ হয়<ref>Bruning, G.J. Schraw & M.M. Norby (2011) Cognitive Psychology and Instruction (5th Ed). New York: Pearson.</ref>।
গবেষণাও দেখায়, কঠিন সমস্যার ক্ষেত্রে দৃশ্যমান উপস্থাপন উপকারী। মার্টিন এবং শোয়ার্জ<ref>Martin, L., and D. L. Schwartz. 2009. “Prospective Adaptation in the Use of External Representations.” Cognition and Instruction 27 (4): 370–400. doi:10.1080/</ref> দেখেছেন যে কঠিন কাজে এবং যখন মাঝে মাঝে সম্পদ ব্যবহার করা যায়, তখন বহিঃস্থ উপস্থাপন বেশি ব্যবহার করা হয়। যদিও এই উপস্থাপন তৈরি করতে সময় লাগে। এরা এগুলো তৈরি করেন তারা কার্যকরভাবে এবং নির্ভুলভাবে সমস্যার সমাধান করতে সক্ষম হন।
আরেকটি সুবিধা হলো এই দৃশ্য উপস্থাপন আমাদের জ্ঞাতাগত পক্ষপাত কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করে। চেম্বারস এবং রেইসবার্গ কর্তৃক পরিচালিত একটি গবেষণায়<ref>Chambers, D., and D. Reisberg. 1985. “Can Mental Images Be Ambiguous?” Journal of Experimental Psychology: Human A pragmatic perspective on visual representation and creative thinking Perception and Performance 11 (3): 317–328.</ref> অংশগ্রহণকারীদের একটি ছবি দেখে চোখ বন্ধ করে সেটির মানসিক চিত্র তৈরি করতে বলা হয়। পরে যখন তাদের সেই মানসিক চিত্র থেকে বিকল্প ব্যাখ্যা বের করতে বলা হয়, তখন কেউই তা করতে পারেনি। কিন্তু যখন ছবি দৃশ্যমানভাবে উপস্থাপন করা হয়, তখন তারা দ্রুত ছবি ঘুরিয়ে অন্য ব্যাখ্যায় পৌঁছাতে পেরেছে। এটি দেখায়, দৃশ্য উপস্থাপন শিক্ষার্থীদের মানসিক জড়তার বিরুদ্ধে কাজ করতে সাহায্য করতে পারে। এটি পরবর্তী অংশে আলোচনা করা হবে।
===== শিক্ষণগত প্রভাব =====
উপরে দেখা গেছে, বিমূর্ত উপস্থাপনায় নির্ভর করলে আমাদের মস্তিষ্কের সীমিত স্বল্প-মেয়াদি স্মৃতি অতিরিক্তভাবে চাপের মধ্যে পড়ে<ref name=":202" />। অনেক সমস্যা এই সীমা অতিক্রম করে যার ফলে আমরা আমাদের কাজের স্মৃতিতে প্রয়োজনীয় সব তথ্য রাখতে পারি না<ref name=":202" />। ফলে এটি ইঙ্গিত করে, শিক্ষকরা সমস্যাগুলো দৃশ্যমান বা লিখিতভাবে উপস্থাপন করলে জ্ঞাতাগত চাপ কমবে। সর্বশেষে, শিক্ষকদের উচিত শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন বহিঃস্থ উপস্থাপন যেমন চার্ট, গ্রাফ, ছবি ইত্যাদির মাধ্যমে তথ্য উপস্থাপনের উপায় দেখানো যাতে করে তারা কার্যকর সমাধান খুঁজে পেতে পারে।
=== সমস্যা সমাধানের চ্যালেঞ্জ ===
উপরে আলোচনা অনুযায়ী, সমস্যা সমাধানকে সহজতর করতে বিভিন্ন কৌশল রয়েছে, কিন্তু এমন কিছু বিষয়ও রয়েছে যা এই প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ: কারও পূর্বের অভিজ্ঞতা অনেক সময় নতুন সমাধান, পন্থা বা ধারণা ভাবতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারে<ref name=":26">Öllinger, M., Jones, G., & Knoblich, G. (2008). Investigating the effect of mental set on insight problem solving. Experimental Psychology, 55(4), 269-282. doi:10.1027/1618-3169.55.4.269</ref>।
==== মনোভাব ====
একটি মনোভাব বলতে বোঝায় কোনো কাজের প্রতি আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি যা অতীত অভিজ্ঞতার দ্বারা প্রভাবিত হয়ে গঠিত হয়।<ref name=":262" /> "Mental set" বলতে বোঝায় অতীতের সফল সমাধানগুলোকেই আমরা বারবার ব্যবহার করতে চাই, পরিবর্তে নতুন কোনো বিকল্প উপায় খুঁজে বের না করা। কিছু কিছু পরিস্থিতিতে এই ধরণের মানসিকতা কার্যকরী হতে পারে, যেমন পূর্বের সফল কৌশল ব্যবহার করে আমরা দ্রুত কোনো সমস্যার সমাধান খুঁজে পেতে পারি। তবে, এটি অনেক সম্ভাব্য এবং অধিক কার্যকর সমাধানকে বাদ দিয়ে দিতে পারে।
[[চিত্র:Candle_task.png|থাম্ব|মোমবাতির কাজ হলো একটি উদাহরণ যা দেখায় কীভাবে বন্ধ মানসিকতা "কার্যকরী স্থিরতা" সৃষ্টি করে।]]
==== কার্যকরী স্থিরতা ====
''[[চিন্তন ও নির্দেশনা/সমস্যা সমাধান, সমালোচনামূলক চিন্তন ও যুক্তি#শব্দকোষ Functional fixedness|কার্যকরী স্থিরতা]]'' হলো এক ধরনের মানসিক গঠন যেখানে আমরা কোনো বস্তুর প্রচলিত কাজেই সীমাবদ্ধ থাকি এবং তার নতুন সম্ভাব্য ব্যবহারগুলো উপেক্ষা করি।<ref name=":203" />
"কার্যকরী স্থিরতা"-এর একটি প্রথাগত উদাহরণ হলো "মোমবাতির সমস্যা"।<ref>Duncker, K. (1945). On Problem Solving. Psychological Monograph, Whole No. 270.</ref> ধরুন আপনি একটি টেবিলের সামনে বসে আছেন। এখানে একটি বাক্স ভর্তি ট্যাক, একটি মোমবাতি এবং কিছু ম্যাচ আছে। আপনাকে বলা হলো যত দ্রুত সম্ভব একটি জ্বলন্ত মোমবাতিকে কর্কবোর্ড দেওয়ালে এমনভাবে বসাতে হবে যাতে মোম টেবিলে গলে না পড়ে। কার্যকরী স্থিরতা-এর কারণে আপনি প্রথমে মনে করতে পারেন ট্যাক ব্যবহার করে মোমবাতিকে দেয়ালে পিন করে দেওয়াটাই সঠিক। কারণ সাধারণত ট্যাক এমন কাজেই ব্যবহৃত হয়—এই অভ্যস্ততাই এক্সপেরিমেন্টের অংশগ্রহণকারীদের প্রভাবিত করেছিল। কিন্তু এটি ভুল সমাধান কারণ এতে মোম টেবিলে গলে পড়বে।
সবচেয়ে কার্যকর সমাধান হলো ট্যাক ভর্তি বাক্সটিকে শুধু একটি ধারক হিসেবে না দেখে একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কল্পনা করা। যদি আমরা বাক্সটি খালি করি, তবে এটি মোমবাতির জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ব্যবহার করতে পারি এবং ট্যাকগুলো দিয়ে বাক্সটিকে দেয়ালে লাগাতে পারি। প্রথমে এই সমাধানটি ভাবা কঠিন। কারণ আমরা বাক্সটিকে সাধারণত ট্যাক রাখার পাত্র হিসেবেই ভাবি এবং এর অন্য কোনো ব্যবহার কল্পনা করতে পারি না (যেমন, এটি একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করতে পারে)। এই পরীক্ষাটি দেখায় কিভাবে পূর্ব জ্ঞান আমাদের চিন্তাকে সীমাবদ্ধ করতে পারে এবং সমস্যা সমাধানে বাধা সৃষ্টি করতে পারে।
===== কার্যকরী স্থিরতা কাটিয়ে ওঠার কৌশল =====
ম্যাকক্যাফ্রে (২০১২) এর প্রস্তাব অনুযায়ী,<ref name=":27">McCaffrey, T. (2012). Innovation relies on the obscure: A key to overcoming the classic problem of functional fixedness. Psychological Science, 23(3), 215-218.</ref> কার্যকরী স্থিরতা কাটিয়ে ওঠার একটি উপায় হলো বস্তুকে খণ্ড খণ্ড অংশে ভাগ করা। এভাবে আমরা দুটি মৌলিক প্রশ্ন করতে পারি: “এটি কি আরও ছোট অংশে ভাঙা যায়?” এবং “আমার বর্ণিত অংশের নাম কি কোনো ব্যবহার নির্দেশ করে?” এই বিষয়টি বোঝাতে ম্যাকক্যাফ্রে একটি "স্টিলের আংটি চিত্র-৮" উদাহরণ দিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে একজন ব্যক্তিকে দুটি স্টিল রিং, একটি মোমবাতি এবং একটি ম্যাচ দেওয়া হয়। তাকে বলা হয় এই দুটি রিংকে মিলিয়ে একটি ৮ আকৃতি তৈরি করতে।
ব্যক্তি যখন সরঞ্জামগুলোর দিকে তাকায় তখন সে ভাবতে পারে মোমবাতির মোম গলিয়ে স্টিল রিং দুটি জোড়া লাগানো যেতে পারে। কিন্তু মোম যথেষ্ট শক্ত নয়। তখন প্রশ্ন দেখা দেয়, কীভাবে রিং দুটি জোড়া লাগানো যায়।
এখানে মোমবাতির সলতা একটি টুল হিসেবে রয়ে যায়, কিন্তু যখন আমরা এটিকে আলো দেওয়ার উপায় হিসেবে ভাবি, তখন আমরা বিকল্প ব্যবহার ভাবতে পারি না। কিন্তু যদি আমরা সলতাকে শুধুই একটি মোমে মোড়ানো সুতা হিসেবে দেখি, তাহলে আমরা সঠিক সমাধানে পৌঁছাতে পারি। এই সুতা ব্যবহার করে দুটি রিংকে একসাথে বাঁধা যেতে পারে। ম্যাকক্যাফ্রে (২০১২) দেখিয়েছেন। এরা এই কৌশলে প্রশিক্ষিত ছিল তারা কন্ট্রোল গ্রুপের তুলনায় ৬৭% বেশি সমস্যার সমাধান করতে পেরেছিল।<ref name=":27" />
====== শিক্ষণতাত্ত্বিক প্রভাব ======
এই কৌশলটি কার্যকর প্রমাণিত হওয়ায়, এটি নির্দেশ করে বহুবিধ চিন্তাভাবনা শেখাতে শিক্ষার্থীদের শেখানো উচিত: “এই বস্তুটি আরও ছোট অংশে ভাগ করা যায় কি না”<ref name=":27" /> এবং “বর্ণিত অংশের নাম কোনো নির্দিষ্ট ব্যবহার নির্দেশ করে কি না”। এতে শিক্ষার্থীরা বস্তুগুলিকে তাদের মৌলিক রূপে বিশ্লেষণ করতে শিখবে এবং সমস্যার অস্পষ্ট বৈশিষ্ট্যগুলোকে স্পষ্ট করে তুলতে পারবে। এটি পূর্বে আলোচিত "ধারণাকরণ"-এর ধারণার সঙ্গে যুক্ত যেখানে সমস্যা সমাধানের দক্ষতা বাড়ানো যায় সমস্যাটি সঠিকভাবে সংজ্ঞায়িত করার ওপর জোর দিয়ে, আমাদের পূর্বধারণার ওপর ভিত্তি করে হঠাৎ সিদ্ধান্ত না নিয়ে। পরবর্তী অংশে আমরা আলোচনা করবো সমস্যা সমাধানে বিশেষজ্ঞরা কী কৌশল ব্যবহার করেন।
== সমস্যা সমাধানে নবীন বনাম বিশেষজ্ঞ ==
অনেক গবেষক মনে করেন, কার্যকর সমস্যা সমাধান দুটি গুরুত্বপূর্ণ ভেরিয়েবলের উপর নির্ভর করে: আমরা নির্দিষ্ট ধরণের সমস্যাগুলো সমাধানে কতটা অভিজ্ঞ তা<ref name=":28">Taconis, R., Ferguson-Hessler, M. G. M., & Broekkamp, H. (2002). Teaching science problem solving: An overview of experimental work. Journal of Research in Science Teaching, 38, 442–46</ref>। এটি আমরা পূর্বে আলোচনা করেছি যে, সমস্যা-ভিত্তিক পদ্ধতিতে অনুশীলনের মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের দক্ষতা বাড়ানো যায়। তবে দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হলো আমরা নির্দিষ্ট বিষয়ে কতটা জ্ঞান রাখি<ref name=":28" />। বিশেষজ্ঞদের সেই বিষয়ে বিপুল পরিমাণ জ্ঞান থাকে। এটি তাদের প্রাসঙ্গিক সমস্যার সমাধানে দ্রুত ও কার্যকরী সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করে। বিশেষজ্ঞরা নিজেদের জ্ঞানকে সংগঠিতভাবে সাজাতে পারেন। এটি তাদের তথ্য বোঝা, সাজানো ও ব্যাখ্যা করার প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করে এবং এর ফলে তারা নবীনদের তুলনায় ভালোভাবে স্মরণ, বিশ্লেষণ এবং সমাধান করতে সক্ষম হন।<ref>Bransford, J. D., Brown, A. L., & Cocking, R. R. (Eds.). (2000). How people learn: Brain, mind, experience, and school. Washington, DC: National Academies Press.</ref>
বিশেষজ্ঞ ও নবীনদের সমস্যা সমাধানের কৌশলের মধ্যে তুলনা করলে দেখা যায়, বিশেষজ্ঞরা সাধারণত তাদের জ্ঞানকে গভীর কাঠামো বা মৌলিক ধারণার চারপাশে সংগঠিত করেন, যেমন সমস্যাটি সমাধানে কী ধরণের কৌশল প্রয়োজন<ref name=":29">Novick, L. R., & Bassok, M. (2005). Problem solving. In K. Holyoak & R. Morrison (Eds.), The Cambridge handbook of thinking and reasoning (pp. 321–350). Cambridge, UK: Cambridge University Press.</ref>। এর বিপরীতে, নবীনরা সমস্যাগুলোকে বাহ্যিক কাঠামোর ভিত্তিতে শ্রেণিবদ্ধ করে, যেমন সমস্যায় থাকা বস্তুগুলো।<ref name=":29" />
বিশেষজ্ঞরা সমস্যা বিশ্লেষণ ও শনাক্ত করতে নবীনদের তুলনায় বেশি সময় ব্যয় করেন। তারা সমাধান বাস্তবায়নের আগে চিন্তা ও পরিকল্পনার জন্য বেশি সময় নেন এবং কিছু নির্দিষ্ট কৌশল ব্যবহার করেন যা তাদের আরও কার্যকর সমাধান দিতে সক্ষম করে।<ref>Fuchs, L. S., Fuchs, D., Stuebing, K., Fletcher, J. M., Hamlett, C. L., & Lambert, W. (2008). Problem solving and computational skills: Are they shared or distinct aspects of mathematical cognition? Journal of Educa- tional Psychology, 100, 30–</ref>
এছাড়াও, বিশেষজ্ঞরা নবীনদের তুলনায় সমস্যার গভীর এবং পূর্ণাঙ্গ উপস্থাপনায় নিয়োজিত থাকেন, যেমন বাহ্যিক উপস্থাপন পদ্ধতি—ডায়াগ্রাম বা স্কেচ—ব্যবহার করে তথ্য তুলে ধরা এবং সমস্যার সমাধান করা। এর ফলে তারা দ্রুত এবং আরও ভালো সমাধানে পৌঁছাতে পারেন।<ref name=":30">McNeill, K., & Krajcik, J. (2008). Scientific explanations: Characterizing and evaluating the effects of teachers’ instructional practices on student learning. Journal of Research in Science Teaching, 45, 53–78.</ref>
উপরের আলোচনার ভিত্তিতে বলা যায়, সমস্যা সমাধান ও দক্ষতা একে অপরের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। কারণ বিশেষজ্ঞরা যেসব কৌশল ব্যবহার করেন সেগুলো কার্যকর সমস্যা সমাধানের কৌশল হিসেবেও চিহ্নিত হয়েছে। তাই বলা যায়, বিশেষজ্ঞদের শুধু বিষয়ভিত্তিক জ্ঞানই বেশি নয়, তারা জানেন এবং প্রয়োগ করেন সবচেয়ে কার্যকর কৌশলগুলো যাতে করে তারা নবীনদের তুলনায় আরও দ্রুত এবং দক্ষতার সঙ্গে সমস্যার সমাধান করতে পারেন।<ref name=":30" /> পরবর্তী অংশে আমরা আলোচনা করবো সমস্যা সমাধান ও সমালোচনামূলক চিন্তার মধ্যকার সম্পর্ক।
== সমস্যা সমাধানে কগনিটিভ টিউটর ==
কগনিটিভ টিউটর বা জ্ঞানীয় শিক্ষক হলো এক ধরনের বুদ্ধিমান শিক্ষণ সহায়ক পদ্ধতি।<ref name=":332">Aleven, V. A. W. M. M., & Koedinger, K. R. (2002) An effective meta-cognitive strategy: learning by doing and explaining with a computer-based Cognitive Tutor. Cognitive Science, 26(2), 147–179.</ref> এটি শিক্ষার্থীদের আলাদা ভিত্তিতে বিভিন্ন ধরণের সমস্যা দিতে পারে, ব্যবহারকারীর সমাধান প্রক্রিয়া ট্র্যাক করতে পারে, প্রয়োজনীয় মুহূর্তে প্রতিক্রিয়া ও ইঙ্গিত দিতে পারে এবং দক্ষতা অর্জনের মানদণ্ড বাস্তবায়ন করতে পারে।<ref name=":342">Anderson, J. R., Corbett, A. T., Koedinger, K. R., & Pelletier, R. (1995). Cognitive Tutors: Lessons learned. Journal of the Learning Sciences, 4(2), 167.</ref>
অ্যান্ডারসন এবং তার সহকর্মীদের মতে,<ref name=":342" /> যারা LISP টিউটরের সাহায্যে কাজ করেছে তারা সমস্যাগুলো ৩০% দ্রুত সমাধান করেছে এবং ৪৩% ভালো ফল করেছে তাদের সহপাঠীদের তুলনায় যারা শুধু শিক্ষকের সহায়তায় মিনি কোর্স করেছিল। একইভাবে। এরা এসিটি প্রোগ্রামিং টিউটর (APT) ব্যবহার করেছে (এটি তাত্ক্ষণিক প্রতিক্রিয়া দেয়) তারা ঐ সমস্যার সেটগুলো দ্রুত শেষ করেছে এবং পরীক্ষায় ২৫% বেশি নম্বর পেয়েছে ঐসব শিক্ষার্থীদের তুলনায় যারা প্রচলিত উপায়ে ক্লাস করেছে।<ref name=":35">Corbett, A. T., & Anderson, J. R. (2001). Locus of feedback control in computer-based tutoring: Impact on learning rate, achievement and attitudes. In Proceedings of the SIGCHI Conference on Human Factors in Computing Systems (pp. 245–252). New York, NY, USA: ACM.</ref> এছাড়াও, উচ্চ বিদ্যালয়ের জ্যামিতি ক্লাসে যারা সমস্যা সমাধানের জন্য জ্যামিতি প্রমাণ টিউটর (GPT) ব্যবহার করেছে তারা পরবর্তীতে নেওয়া পরীক্ষায় ঐসব শিক্ষার্থীদের চেয়ে বেশি নম্বর পেয়েছে যারা প্রচলিত ক্লাসরুম কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেছিল।<ref name=":36">Koedinger, K. R., & Corbett, A. (2006). Cognitive tutors. The Cambridge handbook of the learning sciences, 61-77.</ref>
=== কগনিটিভ টিউটরের একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ ===
১৯৮৫ সালে, অ্যান্ডারসন, বয়েল এবং রেইগসার বুদ্ধিমান টিউটরিং সিস্টেমে কগনিটিভ সাইকোলজির শাখাটি যুক্ত করেন। সেই সময় থেকে, বুদ্ধিমান টিউটরিং সিস্টেম এই পদ্ধতিকে গ্রহণ করে শিক্ষার্থীদের জ্ঞান অর্জনের জন্য কগনিটিভ মডেল নির্মাণ করে। এর নাম দেওয়া হয় কগনিটিভ টিউটর।<ref name=":343" /> সবচেয়ে বহুল ব্যবহৃত কগনিটিভ টিউটর হলো কগনিটিভ_টিউটর® Algebra I।<ref name=":362" /> কার্নেগি লার্নিং, ইনকর্পোরেটেড। এর মালিকানাধীন ট্রেডমার্ক এটি, তারা পূর্ণাঙ্গ কগনিটিভ_টিউটর® বিকাশ করছে। এর মধ্যে রয়েছে বীজগণিত I, II, বীজগণিতের সেতু, জ্যামিতি, এবং সমন্বিত গণিত I, II, III। কগনিটিভ_টিউটর® এখন স্প্যানিশ মডিউলও অন্তর্ভুক্ত করেছে।
কগনিটিভ টিউটর শেখার প্রক্রিয়াকে “কাজ করে শেখা”-এর ধারণাকে সমর্থন করে। এটি মানবিক টিউটরিংয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যভিত্তিক দক্ষতা বা ধারণা প্রয়োগের সুযোগ ও বিষয়বস্তুভিত্তিক প্রতিক্রিয়া প্রদান করে।<ref name=":362" /> শিক্ষার্থীদের পারফরম্যান্স পর্যবেক্ষণের জন্য, কগনিটিভ টিউটর দুটি ''[[চিন্তন ও নির্দেশনা/সমস্যা সমাধান, সমালোচনামূলক চিন্তন ও যুক্তি#শব্দকোষ Algorithms|অ্যালগরিদম]]'' ব্যবহার করে — মডেল ট্রেসিং ও নলেজ ট্রেসিং। মডেল ট্রেসিং তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া প্রদান করে এবং শিক্ষার্থীর প্রতিটি ধাপে নির্দিষ্ট বিষয়বস্তুভিত্তিক পরামর্শ দেয়।<ref name=":343" /> নলেজ ট্রেসিং ব্যবহারকারীর পূর্বজ্ঞান অনুসারে প্রতিটি ব্যবহারকারীর জন্য উপযুক্ত কাজ নির্বাচন করে যাতে তারা মাস্টারি লার্নিং অর্জন করতে পারে।<ref name=":343" /><ref name=":362" />
কগনিটিভ টিউটর বিভিন্ন পাঠ্যক্রম বা বিষয়ে তৈরি এবং প্রয়োগ করা যায় শিক্ষার্থীদের শেখায় সহায়তা করার জন্য, এবং ক্লাসরুম লার্নিং-এ অভিযোজিত সফটওয়্যার হিসেবে সংযুক্ত করা যায়। এই পাঠ্যক্রম ও বিষয়গুলির মধ্যে রয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের গণিত,<ref name=":333" /> <ref name=":352" /> <ref>Koedinger, K. R. (2002). Toward evidence for instructional design principles: Examples from Cognitive Tutor Math 6. In Proceedings of PME-NA XXXIII (The North American Chapter of the International Group for the Psychology of Mathematics Education).</ref> উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জেনেটিকস,<ref>Corbett, A., Kauffman, L., Maclaren, B., Wagner, A., & J,.ones, E. (2010). A Cognitive Tutor for genetics problem solving: Learning gains and student modeling. Journal of Educational Computing Research, 42(2), 219–239.</ref> এবং প্রোগ্রামিং।<ref name=":343" /><ref name=":352" /><ref>Corbett, A. T., & Anderson, J. R. (2008). Knowledge decomposition and sub-goal reification in the ACT programming tutor. Department of Psychology, 81.</ref><ref>Corbett, A. T., & Bhatnagar, A. (1997). Student modelling in the ACT programming tutor: Adjusting a procedural learning model with declarative knowledge. In User modelling (pp. 243-254). Springer Vienna.</ref>
কগনিটিভ টিউটর শ্রেণীকক্ষ, শিক্ষার্থীদের উৎসাহ এবং অর্জনে বিশাল প্রভাব ফেলেছে।<ref>Corbett, A. (2002). Cognitive tutor algebra I: Adaptive student modelling in widespread classroom use. In Technology and assessment: Thinking ahead. proceedings from a workshop (pp. 50-62).</ref> কগনিটিভ টিউটরের কার্যকারিতা সম্পর্কে গবেষণার প্রমাণগুলো ইঙ্গিত করে, এটি শ্রেণীকক্ষ শিক্ষার তুলনায় অধিক কার্যকর।<ref name=":343" /><ref>Koedinger, K. R. & Anderson, J. R. (1993). Effective use of intelligent software in high school math classrooms. In Proceedings of the World Conference on Artificial Intelligence in Education, (pp. 241-248). Charlottesv</ref><ref>Koedinger, K., Anderson, J., Hadley, W., & Mark, M. (1997). Intelligent tutoring goes to school in the big city. Human-Computer Interaction Institute.</ref><ref name=":352" />
=== কগনিটিভ টিউটরের তাত্ত্বিক পটভূমি ===
==== [http://en.wikibooks.org/wiki/Cognition_and_Instruction/Long-Term_Memory#The_ACT-R_Theory ACT-R তত্ত্ব] ====
কগনিটিভ টিউটরের তাত্ত্বিক পটভূমি হলো ACT-R তত্ত্ব অফ লার্নিং অ্যান্ড পারফরম্যান্স। এটি প্রক্রিয়াগত জ্ঞান এবং ঘোষণামূলক জ্ঞানের মধ্যে পার্থক্য করে।<ref name=":343" /> ACT-R তত্ত্ব অনুযায়ী, প্রক্রিয়াগত জ্ঞান সরাসরি মানুষের মাথায় ঢোকানো যায় না, এবং এটি if-then ''[[চিন্তন ও নির্দেশনা/সমস্যা সমাধান, সমালোচনামূলক চিন্তন ও যুক্তি#শব্দকোষ গুণন|গুণন]]'' বিধির মাধ্যমে উপস্থাপন করা যায়। প্রক্রিয়াগত জ্ঞান অর্জনের একমাত্র উপায় হলো কাজ করে শেখা।
==== [http://en.wikibooks.org/wiki/Cognition_and_Instruction/Long-Term_Memory#Production_Rule_Models_of_Memory প্রোডাকশন রুলস] ====
প্রোডাকশন রুলস দেখায় কিভাবে শিক্ষার্থীরা, তারা নতুন হোক বা অগ্রসর, একটি নির্দিষ্ট বিষয় বা ক্ষেত্রে চিন্তা করে।<ref name=":343" /> প্রোডাকশন রুলস শিক্ষার্থীদের অনানুষ্ঠানিক বা স্বতঃসিদ্ধ চিন্তাভাবনাকে উপস্থাপন করতে পারে।<ref>Koedinger, K. R., & Corbett, A. (2006). Cognitive tutors. The Cambridge handbook of the learning sciences, 61-77.</ref> এই অনানুষ্ঠানিক বা স্বতঃসিদ্ধ চিন্তাভাবনা সাধারণত পাঠ্যপুস্তকে শেখানো ধারণার চেয়ে ভিন্ন হয়, এবং শিক্ষার্থীরা স্কুলের বাইরেও এমন চিন্তার ধরন অর্জন করতে পারে।<ref>Resnick, L. B. (1987). Learning in school and out. Educational Researcher, 16(9), 13-20.</ref> সমস্যার সমাধানে নির্দিষ্ট অপারেশনের পরিবর্তে একটি পরিকল্পনা প্রদান করা যেমন হিউরিস্টিক পদ্ধতি;<ref>Polya, G. (1957). How to Solve It: A New Aspect of Mathematical Method. (2nd ed.). Princeton, NJ: Princeton University Press.</ref> এবং বিকল্প কৌশল যেমন প্রতীক ছাড়াও গ্রাফিক্স ব্যবহার করে সমীকরণ সমাধান করাও<ref name=":362" /> প্রোডাকশন রুলের মাধ্যমে উপস্থাপন করা যায়।
==== কগনিটিভ মডেল এবং মডেল ট্রেসিং ====
কগনিটিভ মডেল ACT-R তত্ত্ব এবং শিক্ষার্থীদের উপর পরিচালিত গবেষণার উপর ভিত্তি করে গঠিত।<ref name=":362" /> শিক্ষার্থীদের সব সমাধান এবং সাধারণ ভ্রান্ত ধারণাগুলো কগনিটিভ মডেলের প্রোডাকশন সিস্টেমে উপস্থাপিত হয়।
{| border="1" style="background-color:Whitesmoke" cellpadding="10px" cellspacing="8px" align="center"
|একটি বীজগণিতীয় সমীকরণ সমাধানের তিনটি কৌশল
|-
|<blockquote>'''সমীকরণ''': 2(3+X)=10</blockquote><blockquote>'''কৌশল ১''': 2x3+2xX=10</blockquote><blockquote>'''কৌশল ২''': 2(3+X)÷2=10÷2</blockquote><blockquote>'''কৌশল ৩''': 2x3+X=10</blockquote>
|}
উদাহরণস্বরূপ, 2(3+X)=10 এই বীজগণিতীয় সমীকরণ সমাধানের তিনটি কৌশল রয়েছে। কৌশল ১ হলো ২ দ্বারা (3+X) গুণ করা; কৌশল ২ হলো উভয় পাশে ২ দ্বারা ভাগ করা; কৌশল ৩ হলো ২ দ্বারা শুধু ৩ গুণ করে X কে গুণ না করে ভুল ধারণা প্রদর্শন করা। যেহেতু প্রতিটি কাজের একাধিক পদ্ধতি থাকতে পারে, শিক্ষার্থীরা তাদের সুবিধামত সমাধান পদ্ধতি বেছে নিতে পারে।
মডেল ট্রেসিং একটি অ্যালগরিদম যা শিক্ষার্থীদের শেখার প্রতিটি ধাপ অনুসরণ করতে পারে এবং তাত্ক্ষণিক, প্রসঙ্গভিত্তিক প্রতিক্রিয়া প্রদান করে। যদি শিক্ষার্থী সঠিক উত্তর বেছে নেয়, যেমন কৌশল ১ বা কৌশল ২ ব্যবহার করে সমাধান করে, কগনিটিভ_টিউটর® এটি গ্রহণ করে এবং শিক্ষার্থীকে পরবর্তী কাজ দেয়। যদি শিক্ষার্থীর ভুলটি একটি সাধারণ ভ্রান্ত ধারণার সঙ্গে মিলে যায়, যেমন কৌশল ৩, কগনিটিভ_টিউটর® এটিকে ভুল হিসেবে চিহ্নিত করে এবং তাৎক্ষণিকভাবে পরামর্শ দেয়, যেমন: "X-কে ২ দ্বারা গুণ করাও প্রয়োজন।" যদি শিক্ষার্থীর ভুল কোনো প্রোডাকশন রুলের সঙ্গে না মেলে, অর্থাৎ উপরোক্ত কোনো কৌশল ব্যবহার না করে, তাহলে কগনিটিভ_টিউটর® এই ধাপটিকে লাল রঙ ও ইটালিকে একটি ভুল হিসেবে চিহ্নিত করে। সমস্যার সমাধান করার সময় শিক্ষার্থীরা যে কোনো সময়ে সাহায্য বা ইঙ্গিত চাইতে পারে। করবেটের মতে,<ref name=":352" /> তিনটি স্তরের পরামর্শ রয়েছে: প্রথমত, একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য অর্জনের পরামর্শ; দ্বিতীয়ত, সেই লক্ষ্য অর্জনের জন্য সাধারণ ধারণা প্রদান; এবং তৃতীয়ত, বর্তমান প্রসঙ্গে সমস্যার সমাধান সম্পর্কে বিস্তারিত পরামর্শ।
==== নলেজ ট্রেসিং ====
নলেজ ট্রেসিং সমস্যার সমাধান প্রক্রিয়ায় শিক্ষার্থীদের ক্রমবর্ধমান প্রোডাকশন রুলস পর্যবেক্ষণ করতে পারে। প্রতিটি শিক্ষার্থী সমস্যার প্রতিটি ধাপে একটি প্রোডাকশন রুল নির্বাচন করতে পারে, এবং কগনিটিভ টিউটর শিক্ষার্থী ঐ নির্দিষ্ট রুল শিখেছে কিনা, তার সম্ভাব্যতা আপডেট করে হিসাব করতে পারে।<ref name=":352" /><ref name=":362" /> এই সম্ভাব্যতা অনুমানসমূহ সফটওয়্যারের ইন্টারফেসে স্কিল-মিটার-এ দেখানো হয়। এই অনুমান ব্যবহার করে কগনিটিভ টিউটর শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত চাহিদার ভিত্তিতে উপযুক্ত কাজ বা সমস্যা নির্বাচন করতে পারে।
=== কার্যকারিতা ===
==== কগনিটিভ টিউটর® জ্যামিতি ====
অ্যালেভেন এবং কোয়েডিঙ্গার দুটি পরীক্ষা পরিচালনা করেছিলেন যাতে দেখা যায় কগনিটিভ টিউটর® কি উচ্চ বিদ্যালয়ের জ্যামিতি ক্লাসে আত্ম-ব্যাখ্যাকে কার্যকরভাবে সহায়তা করতে পারে কিনা।<ref name=":334" /> গবেষণার ফলাফল ইঙ্গিত দেয় যে “কগনিটিভ টিউটর® ব্যবহারে সমস্যা-সমাধানের অনুশীলন তখনই আরও কার্যকর হয় যখন শিক্ষার্থীরা তাদের পদক্ষেপগুলোর ব্যাখ্যা সমস্যা-সমাধানের নীতিগুলোর মাধ্যমে দেয়।”<ref name=":33 page"><Aleven, V. A. W. M. M., & Koedinger, K. R. (2002). An effective metacognitive strategy: learning by doing and explaining with a computer-based Cognitive Tutor. Cognitive Science, 26(2), 147–179. p. 173</ref>
জ্যামিতি শেখার ক্ষেত্রে এটি তখন ঘটে যখন শিক্ষার্থীদের পূর্বজ্ঞানভিত্তিক উৎপাদন নিয়মগুলো অতিরঞ্জিত হয়। এর ফলে তারা তথ্যকে ভাসাভাসাভাবে গ্রহণ করে এবং শেখে। উদাহরণস্বরূপ, একটি শিক্ষার্থী সঠিক উত্তর বেছে নিয়ে পরবর্তী ধাপে চলে যেতে পারে এমন একটি অতিরঞ্জিত নিয়ম অনুসরণ করে—''যদি একটি কোণ অন্য একটি কোণের মতো দেখায়, তবে সেটি সমান''—প্রকৃত বোঝাপড়া ছাড়াই। অ্যালেভেন এবং কোয়েডিঙ্গার অনুযায়ী, আত্ম-ব্যাখ্যার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা আরও সাধারণ রূপে নিয়মগুলোর ব্যাখ্যা করতে শেখে এবং এটি তাদের আরও গভীরভাবে চিন্তা করতে এবং জ্যামিতি বিষয়ক নিয়মগুলোর ওপর স্পষ্টভাবে প্রতিফলন করতে উৎসাহিত করে।<ref name=":334" />
গবেষণার অন্তর্ভুক্ত সকল জ্যামিতির ক্লাসে ছিল শ্রেণিকক্ষ আলোচনা, ক্ষুদ্র-দলীয় কার্যক্রম, বক্তৃতা এবং কগনিটিভ টিউটর® ব্যবহারে সমস্যা সমাধান। উভয় পরীক্ষায়, শিক্ষার্থীদের কগনিটিভ টিউটর® এর সাহায্যে সমস্যা সমাধান করতে হয়েছে। তবে কগনিটিভ টিউটর®-এর দুটি আলাদা সংস্করণ ব্যবহার করা হয়েছে—নতুন সংস্করণটি আত্ম-ব্যাখ্যাকে সহায়তা করতে পারে, যেটি "কাজ এবং ব্যাখ্যার মাধ্যমে শিক্ষণ পরিচালিত করা" নামেও পরিচিত,<ref name=":334" /> আর অন্যটি পারে না। নতুন সংস্করণে এমন অতিরিক্ত বৈশিষ্ট্য ছিল যা শিক্ষার্থীদের প্রতিটি ধাপকে যুক্তিযুক্ত করতে জ্যামিতির নীতিমালা প্রবেশ করানো অথবা অনলাইন গ্লসারির সঙ্গে সেগুলোর সংযোগ করানো বাধ্যতামূলক করেছিল, একইসঙ্গে শিক্ষার্থীরা তাদের পছন্দ অনুযায়ী ব্যাখ্যা এবং সমাধান দিতে পারত। নতুন সংস্করণের ব্যাখ্যার ধরনটি কথ্য ব্যাখ্যার চেয়ে আলাদা ছিল। এটি আত্ম-ব্যাখ্যাবিষয়ক আরেকটি পরীক্ষায় উল্লেখ করা হয়েছে। গবেষকরা দেখতে পান। এরা নতুন সংস্করণ ব্যবহার করেছে তারা শুধু যে আরও নিখুঁতভাবে ব্যাখ্যা দিতে পেরেছে তা-ই নয়, বরং তারা জ্যামিতি বিষয়ে আরও গভীরভাবে নিয়মগুলো বুঝতে পেরেছে। ফলে, তারা সেই শেখা নিয়মগুলো নতুন পরিস্থিতিতেও প্রয়োগ করতে পেরেছে এবং ভাসাভাসা শেখা এড়াতে সক্ষম হয়েছে।
==== জেনেটিক্স কগনিটিভ টিউটর ====
করবেট ও সহকর্মীরা (২০১০) জেনেটিক্স কগনিটিভ টিউটর-এর দুটি মূল্যায়ন পরিচালনা করেন আমেরিকার ১২টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৭ ধরণের জীববিজ্ঞান কোর্সে। গবেষণায় দেখা গেছে, পোস্ট-সেকেন্ডারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জেনেটিক্স সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে জেনেটিক্স কগনিটিভ টিউটর ব্যবহার কার্যকর ছিল।<ref>Corbett, A., Kauffman, L., Maclaren, B., Wagner, A., & Jones, E. (2010). A Cognitive Tutor for genetics problem solving: Learning gains and student modelling. Journal of Educational Computing Research, 42(2), 219–239.</ref>
প্রথম মূল্যায়নে, অংশগ্রহণকারীরা ক্লাস কার্যক্রম অথবা হোমওয়ার্ক হিসেবে জেনেটিক্স কগনিটিভ টিউটর ব্যবহার করে। সফটওয়্যারটিতে ১৬টি মডিউল রয়েছে এবং এতে প্রায় ১২৫টি সমস্যা পাঁচটি সাধারণ জেনেটিক বিষয়ের উপর ভিত্তি করে। জেনেটিক্স কগনিটিভ টিউটর জেনেটিক্স সমস্যা সমাধানের জন্য ধাপে ধাপে সহায়তা দেয় এবং এতে উভয় মডেল ট্রেসিং এবং নলেজ ট্রেসিং ব্যবহার করা হয়। প্রাক-পरीক্ষণের গড় সঠিকতার হার ছিল ৪৩% এবং পরবর্তী পরীক্ষায় তা বেড়ে হয় ৬১%, অর্থাৎ গড় উন্নতি ছিল ১৮%। দ্বিতীয় মূল্যায়নে গবেষকরা খতিয়ে দেখেন, জ্ঞান ট্রেসিং অ্যালগরিদম শিক্ষার্থীদের জ্ঞানের সঠিক পূর্বাভাস দিতে পারে কিনা। ফলাফল অনুযায়ী, অ্যালগরিদমটি কাগজ-কলমভিত্তিক পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের পারফরম্যান্স যথাযথভাবে পূর্বানুমান করতে সক্ষম।
== প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা এবং নকশা চিন্তন ==
=== বাস্তব জীবনের সমস্যার সমাধানে তাত্ত্বিক চিন্তা ===
''[[চিন্তন ও নির্দেশনা/সমস্যা সমাধান, সমালোচনামূলক চিন্তন ও যুক্তি#শব্দকোষ Project Project Based Learning|প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা]]'' একটি ধারণা যা শিক্ষার্থীকে শিক্ষার কেন্দ্রে স্থাপন করার উদ্দেশ্যে তৈরি। এই শিক্ষায় শিক্ষার্থীকে একটি জটিল চ্যালেঞ্জ বা প্রশ্নের উত্তরে দীর্ঘ সময় ধরে অনুসন্ধানমূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করতে উৎসাহিত করা হয়। প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষার উদ্দেশ্য হল শিক্ষার্থী যেন পাঠ্যক্রম অনুসরণ করার পাশাপাশি তাদের বিদ্যমান জ্ঞান ব্যবহার করে সমস্যার সমাধান খুঁজে বের করতে পারে। মূলত, এটি এমন একটি কার্যকলাপ যেখানে শিক্ষার্থীরা বাস্তব জীবনের সমস্যা বা ইস্যুর উপর ভিত্তি করে একটি বিষয় সম্পর্কে ধারণা তৈরি করে এবং তাদের শিক্ষাক্রমের নকশা করায় এক ধরনের দায়িত্ব পালন করে<ref>Morgan, Alistar. (1983). Theoretical Aspects of Project-Based Learning in Higher Education. British Journal of Educational Technology, 14(1), 66-78.</ref>। ব্লুমেনফেল্ড প্রমুখ (১৯৯১) উল্লেখ করেছেন যে প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা শিক্ষার্থীকে তাদের মূল প্রশ্ন, কার্যকলাপ এবং তৈরি করা শিল্পকর্মের প্রক্রিয়ার প্রতি দায়িত্ববান করে তোলে<ref name=":48">Blumenfeld, Phyllis C., Elliot Soloway, Ronald W. MArx, Joseph S. Krajick, Mark Guzdial, Annemarie Palincsar.. (1991). Motivating Project-Based Learning: Sustaining the Doing, Supporting the Learning. Educational Psychologist, 26(3&4), 369-398.</ref>।
প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা পাঁচটি নির্দিষ্ট মানদণ্ডের উপর ভিত্তি করে তৈরি<ref name=":37">Thomas, John W. (2000). A Review of Research on Project-Based Learning. San Rafael: Autodesk Press.</ref>:
{| border="1"
|+'''প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষার বৈশিষ্ট্য'''
|প্রকল্পগুলো পাঠ্যক্রমের কেন্দ্রবিন্দু বা প্রান্তবর্তী যে কোন অংশে হতে পারে।
|-
|প্রকল্পগুলো এমন প্রশ্ন বা সমস্যার উপর ভিত্তি করে তৈরি যা শিক্ষার্থীদের একটি নির্দিষ্ট বিষয়ের মূল ধারণা ও নীতির মুখোমুখি করে এবং সেখানে সংগ্রাম করতে বাধ্য করে।
|-
|প্রকল্পগুলো শিক্ষার্থীদের গঠনমূলক অনুসন্ধানে সম্পৃক্ত করে।
|-
|প্রকল্পগুলো কিছুটা হলেও শিক্ষার্থী পরিচালিত হয়।
|-
|প্রকল্পগুলো বাস্তবধর্মী হয়, শুধু বিদ্যালয়ভিত্তিক নয়।
|}
[[চিত্র:Problem_Based_Learning_vs_Project_Based_Learning.png|থাম্ব|প্রকৃত এবং কার্যকর সমাধান উপস্থাপনে শিক্ষার্থীদের চ্যালেঞ্জ জানায় প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা।]]
এই ধরনের চ্যালেঞ্জগুলি বাস্তব জীবনের প্রাসঙ্গিক সমস্যা নিয়ে গঠিত। এটি শিক্ষার্থীদের অনুসন্ধান প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সম্পৃক্ত করে এবং সক্রিয় বা অভিজ্ঞতালব্ধ শিক্ষার মাধ্যমে তাদের ধারণা প্রকাশে সক্ষম করে। উদাহরণস্বরূপ, প্রাথমিক বা মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের শিক্ষকের পক্ষ থেকে স্কুলে কম্পোস্ট সমস্যা সমাধানের জন্য বলা হতে পারে। শিক্ষার্থীদের দলবদ্ধভাবে গবেষণা, নির্মাণ এবং তাদের আইডিয়া প্রদর্শনের নির্দিষ্ট মানদণ্ডের মধ্যে থেকে সমাধান বের করতে উৎসাহিত করা হবে। এখানে তারা দীর্ঘ সময় ধরে বিষয়বস্তুর সাথে মানসিকভাবে যুক্ত থাকবে এবং আগ্রহ ধরে রাখবে<ref name=":48" />। ফলাফল হবে একটি জটিল শিক্ষা প্রক্রিয়া যার সফলতা কেবল অংশগুলোর যোগফল নয় বরং সামগ্রিকতায় নিহিত<ref name=":38">van Merriënboer, J. J. G., Clark, R. E., & de Croock, M. B. M. (2002). Blueprints for complex learning: The 4C/ID-model. Educational Technology Research and Development, 50(2), 39–61. doi:10.1007/bf02504993.</ref>। প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষার লক্ষ্য হলো জ্ঞান, সহযোগিতা এবং একটি চূড়ান্ত প্রকল্প উপস্থাপনের দক্ষতা সমন্বয় করা। এই ধরণের স্কিমা নির্মাণ শিক্ষার্থীদের বাস্তব প্রশিক্ষণ ব্যবহার করে কার্যকর ফলাফল তৈরিতে সাহায্য করে। শিক্ষার্থী পূর্ববর্তী জ্ঞান ব্যবহার করে নতুন তথ্যের সাথে সংযুক্ত হয় এবং একটি বিষয় সম্পর্কে তার ধারণাকে সম্প্রসারিত করে<ref name=":38" />। প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষায় এই প্রক্রিয়াটি তথ্য সংগ্রহ, দলগত আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং সমাধান তৈরি করার মাধ্যমে সম্পন্ন হয়।
সমস্যা ভিত্তিক শিক্ষার চেয়ে প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষায় নির্মাণবাদী শিক্ষার দর্শনের ভিত্তিতে অভিজ্ঞতালব্ধ শেখাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়। এখানে শিক্ষার্থীরা একটি নির্দিষ্ট চালিকাশক্তি প্রশ্নের উত্তরে বাস্তব সমাধানের দিকে অগ্রসর হয়ে তাদের জ্ঞানের পরিমাণ প্রকাশ করে। অভিজ্ঞতালব্ধ শিক্ষার এই দার্শনিক ভিত্তি এসেছে জন ডিউই এর “এডুকেশন অ্যান্ড এক্সপেরিয়েন্স” (শিক্ষা ও অভিজ্ঞতা) নামক গ্রন্থ থেকে। ডিউই মনে করতেন যে অভিজ্ঞতা একটি ধারাবাহিক শেখার প্রক্রিয়া। এটি কৌতূহল জাগায়, উদ্যোগ বৃদ্ধি করে এবং শিক্ষার্থীকে আরও জ্ঞানের দিকে এগিয়ে নিয়ে যায়<ref name=":39">Dewey, J. (1938). Experience and education. New York: Macmillan.</ref>। প্রকৃত সমস্যার সমাধানে কাজ করার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সমাধানকে বাস্তব কাঠামোর সঙ্গে যুক্ত করে এই অভিজ্ঞতালব্ধ শিক্ষা। শিক্ষার্থীদের অবশ্যই তাদের জ্ঞানের অভাব পূরণ করতে হয় গবেষণা ও দলগত সহযোগিতার মাধ্যমে। প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষায় অভিজ্ঞতা নির্ভর শেখা একটি চালিকাশক্তি প্রশ্নের উপর কেন্দ্রীভূত থাকে। এটি সাধারণত শিক্ষক কর্তৃক নির্ধারিত। শিক্ষার্থীরা এই প্রশ্নের উত্তর দিতে একটি নকশা করা শিল্পকর্ম তৈরি করে অর্জিত জ্ঞান উপস্থাপন করে।
প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষার নির্মাণবাদী পদ্ধতি শিক্ষক কর্তৃক পরিচালিত গাইডেড ডিসকভারি পদ্ধতির মাধ্যমে পরিচালিত হয়। এখানে বিশুদ্ধ স্বাধীন অনুসন্ধান। এটি অনেক সময় শিক্ষার্থীদের খুব বেশি স্বাধীনতা দেওয়ার জন্য সমালোচিত। এক্ষেত্রে এটি এড়িয়ে নির্দিষ্ট একটি প্রশ্নের মাধ্যমে শিক্ষার পথ নির্ধারণ করা হয়<ref name=":40">van Merrienboer, J. J. G., Paul A. Kirschner, & Liesbeth Kester. (2004). Taking the Load off a Learner’s Mind: Instructional Design for Complex Learning. Amsterdam: Open University of the Netherlands.</ref>। এই ধরনের নির্মাণবাদী শিক্ষাপদ্ধতি শিক্ষার্থীদের চিন্তন প্রক্রিয়া উন্নত করতে কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে<ref name=":40" />। প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা শিক্ষার্থীদের শেখানো প্রশ্নের উত্তর নিজেরা বের করতে উৎসাহিত করে এবং সেই সঙ্গে অনুসন্ধান, বিশ্লেষণ এবং উপস্থাপনার জন্য একটি কাঠামো প্রদান করে। ফলে, প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা নির্বাচন, সংগঠন এবং জ্ঞান একীভূত করার মাধ্যমে তাৎপর্যপূর্ণ ও মানসিকভাবে উপকারী শেখার সুযোগ তৈরি করে<ref name=":40" />।
=== অভিজ্ঞতা হল শেখার ভিত্তি ===
প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা শিক্ষার একটি শাখা যা কাজের মাধ্যমে শেখাকে গুরুত্ব দেয়। জন ডিউই উল্লেখ করেছেন যে শিক্ষক ও বিদ্যালয়গুলোকে অভিজ্ঞতা ও নির্মাণবাদী পদ্ধতির মাধ্যমে তত্ত্ব ও বাস্তব জীবনের মধ্যে সম্পর্ক গভীর করতে শিক্ষার্থীদের সাহায্য করা উচিত। ডিউই বলেছেন, শিক্ষার মধ্যে অভিজ্ঞতার ধারাবাহিকতা ও শিক্ষা গণতন্ত্রায়নের একটি ধারা থাকা উচিত যাতে মানব অভিজ্ঞতার মান উন্নত হয়<ref name=":39" />। এই দুটি উপাদান প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এখানে বাস্তব সমস্যা নিরসনে সমাধান উপস্থাপন এবং দলগত সহযোগিতার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের নিজস্ব সমাধান খোঁজার সুযোগ থাকে। ব্লুমেনফেল্ড প্রমুখ উল্লেখ করেছেন যে প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষার মূল্য নিহিত শিক্ষার্থীদের সাথে সম্পর্কিত প্রশ্নে — যেমন ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য, সমাজের সমস্যা, বা চলমান ঘটনাবলীতে<ref name=":48" />।
প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষার ভিত্তি জঁ পিয়াজের চিন্তায়ও রয়েছে, যিনি মনে করতেন যে শিক্ষার্থীরা পূর্ববর্তী জ্ঞানকে ভিত্তি করে নতুন কিছু শিখে এবং সেই সাথে নতুন সংযোগ তৈরি করে সর্বোত্তমভাবে শিখে। শিক্ষার্থীর বুদ্ধিমত্তা গঠিত হয় তার পরিবেশের উপাদানগুলো আত্মস্থ করে, এবং বিভিন্ন নতুন স্কিমাকে গ্রহণ করে পূর্ব ধারণাকে পরিবর্তন করে<ref>Piaget, Jean; Cook, Margaret (Trans). The construction of reality in the child. New York, NY, US: Basic Books The construction of reality in the child. (1954). xiii 386 pp. http://dx.doi.org/10.1037/11168-000.</ref>। পিয়াজে মনে করতেন, শিক্ষার্থী নিজেরা জ্ঞান আবিষ্কার করতে পারবে, তবে সহযোগিতা ছাড়া তাদের সমাধান সুসংগঠিত হবে না<ref name=":40" />। প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা পিয়াজের এই সম্মিলিত যোগাযোগ ও দলগত শিখনের গুরুত্বকে স্বীকৃতি দেয়।
=== আত্ম-প্রণোদনা শিক্ষার্থীর শেখাকে এগিয়ে নেয় ===
প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা শিক্ষার্থীদের বিভিন্নভাবে উপকার করে যেমন জ্ঞান অর্জন, যোগাযোগ এবং সৃজনশীলতা বৃদ্ধির মাধ্যমে। একটি নির্দিষ্ট চ্যালেঞ্জে যুক্ত হয়ে শিক্ষার্থীরা গভীরভাবে বিষয়বস্তু অনুধাবন করে। এছাড়া, সহযোগিতামূলক শিক্ষার কারণে যোগাযোগ, নেতৃত্ব এবং সামাজিক দক্ষতা বাড়ে। শিক্ষার্থীরা বিষয়বস্তু দীর্ঘ সময় ধরে মনে রাখতে পারে এবং কী শিখছে তা ভালোভাবে বোঝে। প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষাকে সমর্থন করার জন্য কমপক্ষে চারটি জ্ঞানতাত্ত্বিক ক্ষেত্র আছে<ref name=":37" /> – প্রণোদনা, দক্ষতা, প্রাসঙ্গিকতা, এবং প্রযুক্তি।
[[চিত্র:Ashs-impact_projects.ogv|থাম্ব|শিক্ষার্থীরা তাদের প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষার মডেল নিয়ে প্রেরণার কথা বলছে]]
শিক্ষার্থী যদি কোনো বিষয়ের শিখন ও পারদর্শিতার উপর ভিত্তি করে প্রণোদিত হয়, তাহলে তারা দীর্ঘস্থায়ীভাবে তাদের কাজের সাথে যুক্ত থাকে<ref>Ames, C. (1992). Classrooms: goals, structures, and student motivation. Journal of Educational Psychology, 84, 261-271.</ref>। তাই, প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা প্রতিযোগিতার পরিবর্তে সহযোগিতামূলক লক্ষ্য নির্ধারণ করে। এটিতে ব্যক্তিগত শিক্ষার্থীরা হুমকির সম্মুখীন না হয় এবং শেখায় মনোনিবেশ করতে পারে<ref name=":37" />। প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা শিক্ষার্থীদের এমনভাবে পরিকল্পনা করে যাতে তারা একসাথে লক্ষ্য অর্জন করতে পারে, ভয় বা সমালোচনার ভীতি ছাড়াই। উদাহরণস্বরূপ, হেল্লে প্রমুখ একটি গবেষণায় তথ্য ব্যবস্থা নকশা বিষয়ে শিক্ষার্থীদের সাত মাসব্যাপী একটি প্রকল্পে কাজ করতে দেন। শিক্ষার্থীদের একটি প্রশ্নপত্রের মাধ্যমে তাদের প্রেরণার মাত্রা পরিমাপ করা হয়। গবেষণায় দেখা যায় প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে অন্তর্নিহিত প্রেরণা ০.৫২ স্ট্যান্ডার্ড ডেভিয়েশন বৃদ্ধি পেয়েছে। এটি ইঙ্গিত দেয় প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষার্থীরা আত্মপ্রণোদনার মাধ্যমে কাজ সম্পন্ন করে। বিশেষভাবে। এটিদের আত্মনিয়ন্ত্রণ কম ছিল তাদের মধ্যে প্রেরণা আরও বেশি বেড়েছে<ref>Helle, Laura, Paivi Tynjara, Erkki Olkinora, Kristi Lonka. (2007). “Aint nothin’ like the real thing”. Motivation and study processes on a work-based project course in information systems design. ''British Journal of Educational Psychology,'' 70(2), 397-411.</ref>।
অনেক শিক্ষার্থীর মাঝে মেটাকগনিশন ও আত্মনিয়ন্ত্রণের অভাব রয়েছে, অথচ শিক্ষার্থীদের বিকাশে এই দক্ষতাগুলোর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে<ref name=":37" />। প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষায় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর সম্পর্কের মাধ্যমে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের উচ্চতর অনুসন্ধান পদ্ধতির মডেল হিসেবে ব্যবহার করে স্ক্যাফোল্ডিং প্রয়োগ করতে পারেন, ফলে মধ্যম ও উচ্চতর শ্রেণির শিক্ষার্থীরা অর্থপূর্ণ শিক্ষা ও পরিপক্ব ফলাফল দিতে সক্ষম হয়<ref name=":49">Joseph Krajcik , Phyllis C. Blumenfeld , Ronald W. Marx , Kristin M. Bass , Jennifer Fredricks & Elliot Soloway (1998) Inquiry in Project-Based Science Classrooms: Initial Attempts by Middle School Students, Journal of the Learning Sciences, 7:3-4, 313-350, DOI: 10.1080/10508406.1998.9672057</ref>। শিক্ষার্থীরা ধীরে ধীরে নিজেদের তৈরি করা দক্ষতার উপর বিশেষজ্ঞে পরিণত হয়।
প্রাসঙ্গিকভাবে, বাস্তব পরিস্থিতির সঙ্গে যত বেশি সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়, ততই পরিবেষ্টিত জ্ঞান কার্যকর হয়<ref name=":372" />। সেই দৃষ্টিকোণ থেকে প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা শিক্ষার্থীদের আত্মবিশ্বাস বাড়ায় যাতে তারা বিদ্যালয়ের বাইরেও অনুরূপ কাজ সফলভাবে করতে পারে। কারণ তারা বিষয়বস্তুকে জ্ঞানের কৃত্রিম সীমানা হিসেবে আর দেখে না। গর্জেস এবং গোকে (২০১৫) একটি অনলাইন জরিপের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের প্রধান প্রধান বিষয়গুলোর দক্ষতার আত্ম-উপলব্ধি এবং বাস্তব জীবনে তা প্রয়োগ করার সম্পর্কটি অনুসন্ধান করেন। শিক্ষার্থীরা সমস্যা সমাধানের দক্ষতা এবং তা বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করার বিষয়ে আত্মবিশ্বাস দেখিয়েছে, যেমন গর্জেস এবং গোকে<ref name=":41">Gorges, Julia, Thomas Goke. (2015). How do I Know what I can do? Anticipating expectancy of success regarding novel academic tasks. ''British Journal of Educational Psyschology,'' 85(1), 75-90.</ref> উল্লেখ করেন। যারা প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা অনুসরণ করেছে, তাদের আত্ম-দক্ষতা এবং গণিত (এসডি .৭৭), ইতিহাস (এসডি .৭২) ইত্যাদি বিষয়গুলোতে দক্ষতা সম্পর্কে আত্ম-ধারণা বৃদ্ধি পেয়েছে<ref name=":41" />। তাই শিক্ষার্থীরা শিক্ষাবহির্ভূত পরিবেশেও বিষয়ভিত্তিক জ্ঞান প্রয়োগে বেশি আত্মবিশ্বাসী হয়। এছাড়া, কোর্স শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এবং ১২ সপ্তাহ থেকে ২ বছরের মধ্যে শিক্ষার্থীদের তুলনায় প্রাপ্ত ফলাফল থেকে বোঝা যায়, প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা জ্ঞান ধরে রাখতে অনেক বেশি সহায়ক<ref name=":41" />।
প্রযুক্তির ব্যবহার শিক্ষার্থীদের একটি বেশি বাস্তব অভিজ্ঞতা দেয়। কারণ এতে ডেটা, ব্যাপক ইন্টারঅ্যাকশন এবং সহযোগিতা থাকে, এবং বাস্তব দুনিয়ায় ব্যবহৃত সামগ্রীর অনুকরণ করে<ref name=":372" />। প্রযুক্তির মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা থেকে আরও বেশি উপকার পায়। কারণ এতে জ্ঞান অনুসন্ধানে স্বায়ত্তশাসন এবং দলের সদস্যদের সঙ্গে সংযোগ তৈরি হয়। শিক্ষার্থীরা সৃজনশীল হয়। কারণ তাদের প্রকৃত সমস্যার জন্য নতুন নতুন সমাধান বের করতে হয়। উদাহরণস্বরূপ, হাং ও হোয়াং-এর মতে<ref>Hung, C.-M., Hwang, G.-J., & Huang, I. (2012). A Project-based Digital Storytelling Approach for Improving Students' Learning Motivation, Problem-Solving Competence and Learning Achievement. ''Educational Technology & Society'', 15 (4), 368–379. </ref>, প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা-এর আওতায় ডিজিটাল স্টোরিটেলিং ব্যবহার করে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গ্লোবাল ওয়ার্মিং বিষয়ে একটি নির্দিষ্ট প্রশ্নের উত্তর খোঁজার জন্য ছবি সংগ্রহ করার কাজ পরীক্ষার ফলাফলে তাৎপর্যপূর্ণ উন্নতি ঘটায় (এসডি ০.৬৪)। শিক্ষার্থীদের জ্ঞান খুঁজে বের করতে সাধারণত বিভিন্ন বিষয়ে পেরিয়ে যেতে হয়, ফলে তারা বহুমাত্রিক জ্ঞান ব্যবহার করে সমস্যার সমাধান তৈরি করে।
=== প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা বাস্তবায়নে শিক্ষকদের প্রাপ্ত চ্যালেঞ্জ ===
এই ধরনের শিক্ষণ পদ্ধতির বিরুদ্ধে প্রধান অভিযোগ হলো, প্রকল্পটি অগোছালো হয়ে যেতে পারে এবং সমস্যা সমাধানের জন্য যথাযথ শ্রেণিকক্ষ সময় নাও থাকতে পারে। অনেক শিক্ষকের মধ্যে প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা উপেক্ষিত হয় কারণ তারা এটি প্রয়োগ করার জন্য প্রশিক্ষণ বা প্রাসঙ্গিক জ্ঞান পায় না। প্রযুক্তির মাধ্যমে কার্যকর মূল্যায়নের জন্য অতিরিক্ত ব্যয় শিক্ষকদের নিরুৎসাহিত করে<ref name=":42">Efstratia, Douladeli. (2014). Experiential education through project based learning. ''Procedia – Social and Behavioral Sciences''. 152, 1256-1260.</ref>। সমালোচকদের মতে, এই তথ্যগুলো বক্তৃতাভিত্তিক পদ্ধতিতেও প্রদান করা যায় এবং ফলাফল ততটাই কার্যকর হতে পারে। এছাড়া, শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষে সময় নষ্ট করতে পারে এবং যদি তারা ক্রমাগত প্রকল্প ও শিক্ষার প্রতি মনোযোগ না দেয়, তবে প্রকল্পটি সফল হবে না। প্রচলিত পদ্ধতিতে শিক্ষা প্রদানকারী শিক্ষকরা প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা-কে চ্যালেঞ্জিং মনে করেন। কারণ এতে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংযোগ রক্ষা এবং সময় ব্যবস্থাপনা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে—যা সকল শিক্ষকের জন্য সহজ নয়<ref name=":42" />। ব্লুমেনফেল্ড প্রমুখ (১৯৯৮) বলেন প্রকৃত সফলতা তখনই আসে, যখন প্রকল্পটি একটি সংগঠিত কাঠামোর মধ্যে হয়। এখানে শিক্ষক মডেলিং, উদাহরণ, কৌশল, নির্দেশিকা প্রদান, কার্যক্রম চলাকালীন প্রতিক্রিয়া এবং কাজ সংশোধনের সুযোগ দেন<ref name=":492" />।
=== শিক্ষার্থীদের সমালোচনামূলক চিন্তনের মাধ্যমে খাঁটি ফলাফলের প্রয়োজন ===
[[চিত্র:Framework_for_21st_Century_Learning.jpg|থাম্ব|একবিংশ শতাব্দীর শিক্ষার কাঠামো]]
প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা বিভিন্ন বিষয়ে প্রযোজ্য, বিশেষ করে একবিংশ শতকের শিক্ষার পুনঃসংজ্ঞায়ন (বিভিন্ন স্তরের, প্রযুক্তিনির্ভর, সহযোগিতামূলক, আন্তঃবিষয়ক) প্রেক্ষাপটে। STEM - Science, Technology, Engineering, Mathematics (বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল, গণিত) একবিংশ শতকের এমন একটি শিক্ষা ক্ষেত্র যেখানে প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা প্রাকৃতিকভাবে বিভিন্ন বিষয়ের মধ্যে সেতুবন্ধন গঠন করে। STEM-এর মূল উদ্দেশ্য হলো মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার চ্যালেঞ্জ এবং প্রকৃত জীবনের দলভিত্তিক জটিল সমস্যা সমাধানে প্রস্তুত করা। স্বাস্থ্য, প্রকৌশল, কম্পিউটার নকশা এবং শিক্ষা সহ অনেক পেশাগত ক্ষেত্র প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা থেকে উপকৃত হতে পারে।
প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জ্ঞান সম্প্রসারণ এবং জটিল পরিস্থিতিতে সফলতা অর্জনের সুযোগ দেয়<ref name=":43">Capraro, R. M., Capraro, M. M., & Morgan, J. (2013). STEM Project-Based Learning: An Integrated Science, Technology, Engineering, and Mathematics (STEM) Approach (2nd Edition). New York, NY: Sense. </ref>। এ ছাড়াও, শিক্ষার্থীরা নিজের শক্তি ও দুর্বলতা সম্পর্কে গভীর উপলব্ধি গড়ে তোলে<ref name=":43" />। ফলাফল হিসেবে একজন শিক্ষার্থী গড়ে ওঠে যে চিন্তাশীল, বিশ্লেষণধর্মী এবং বাস্তব পরিস্থিতিতে তা প্রয়োগে সক্ষম। শিক্ষার্থীর তৈরি চূড়ান্ত পণ্য একটি বাস্তবিক ফলাফল প্রদান করে। এটি দায়িত্বশীলতা এবং প্রকল্পের নির্দেশনা ও সীমাবদ্ধতাকে মান্য করে<ref name=":43" />।
শিক্ষার্থীরা নির্দিষ্ট ফলাফলের দিকে মনোযোগ দেয়, কাজের গণ্ডি বোঝে এবং একটি কার্যকর উপস্থাপনযোগ্য সামগ্রী তৈরি করে। এর মাধ্যমে তারা উচ্চ-প্রযুক্তি, দ্রুতগামী কর্মপরিবেশে কাজ করতে প্রস্তুত হয় যেখানে উদ্ভাবন, সহযোগিতা এবং ফলাফলভিত্তিক কার্যসম্পাদন অপরিহার্য।
প্রযুক্তি এমন একটি ক্ষেত্র যেখানে প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা বাস্তব প্রয়োগে দক্ষতা গড়ে তোলে, ফলে নতুন প্রযুক্তির দ্বারা প্রদত্ত জ্ঞানীয় সরঞ্জামগুলো প্রকল্পে অপরিহার্য হলে তা কার্যকর প্রমাণিত হয়<ref name=":482" />। উদাহরণস্বরূপ, যেসব কম্পিউটার নকশাকাররা পূর্বে থেকে কিছু জ্ঞান রাখেন তারা হয়তো অপারেটিং সিস্টেম ট্রাবলশুট করতে পারেন, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে বিষয়বস্তু কিভাবে একত্রে কাজ করে তা বোঝেন না এবং তাদের দক্ষতা সম্পর্কে ভুল ধারণা থাকে<ref>Gary, Kevin. (2013), Project-Based Learning. ''Computer.'' (Vol 48:9). Tempe: Arizona State. </ref>।
== প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষার একটি উপশ্রেণী হিসেবে নকশা-থিংকিং ==
=== বাস্তব জীবনের সমস্যার সমাধানে ব্যবহারিক নকশার প্রক্রিয়া ব্যবহার ===
[[চিত্র:Design_thinking.png|থাম্ব|নকশা চিন্তনে শিক্ষার্থীকে একটি নির্দিষ্ট কাঠামোগত প্রক্রিয়ার মধ্যে কাজ করে একটি নকশা চ্যালেঞ্জ সমাধান করতে হয়]]
''[[চিন্তন ও নির্দেশনা/সমস্যা সমাধান, সমালোচনামূলক চিন্তন ও যুক্তি#শব্দকোষ Design Thinking|নকশা চিন্তন]]'' হলো একটি শিক্ষাদান পদ্ধতি। এটি প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষার একটি শাখা হিসেবে চ্যালেঞ্জভিত্তিক সমস্যা সমাধানের কন্সট্রাকশনিস্ট পদ্ধতিতে শেখানোর উপর ভিত্তি করে তৈরি। এটি এমন একটি শাখার সমন্বয় হিসেবে বোঝা উচিত, যেগুলোর জ্ঞানচর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে নকশা<ref name=":44">Cross, N. (2007). ''Designerly ways of knowing''. Basel, Switzerland: Birkha¨user.</ref>।
নকশা চিন্তনের একটি উদাহরণ হতে পারে, যখন শিক্ষার্থীরা বাস্তব জীবনের কোনো সমস্যার সমাধান খুঁজছে। তবে প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষার চেয়ে এটি একটু ভিন্ন; নকশা চিন্তন শিক্ষার্থীদেরকে একটি নির্দিষ্ট কাঠামোগত প্রক্রিয়ার মধ্যে থেকেই একটি ব্যবহারিক সমাধান তৈরি করতে বলে (চিত্র ৩), যেমন—একটি গ্রামে নিরাপদ পানীয় পানি পৌঁছে দেওয়ার উপায় খুঁজে বের করা। নকশাকাররা সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক দিকগুলো বিবেচনা করবে, তবে তারা এমন একটি কার্যকর প্রোটোটাইপ তৈরি করবে যা বাজারে আনা সম্ভব। ফলে একটি পানির সরবরাহ ব্যবস্থা তৈরি করা যেতে পারে। এটি স্থানীয় উপকরণ, অর্থায়ন এবং নীতিমালার সীমার মধ্যে থেকে কাজ করবে।
এই পদ্ধতিতে সহানুভূতি, সমস্যা সংজ্ঞায়ন, ধারণা তৈরি, প্রোটোটাইপ এবং পরীক্ষা — এই মূলনীতি অনুসরণ করে নকশাের চ্যালেঞ্জ পূরণ করা হয়। এখানে একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য (সমাধান) নিয়ে শুরু করে, নকশার মাধ্যমে সৃজনশীল এবং ব্যবহারিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের ওপর জোর দিয়ে ভবিষ্যতের উন্নত ফলাফল অর্জনের চেষ্টা করা হয়। এটি এমন এক ধরণের চিন্তা প্রক্রিয়া। এখানে সমস্যার সূক্ষ্ম দিকগুলো বিশ্লেষণ করে গোপন উপাদানগুলো খুঁজে বের করা হয় একটি কার্যকর সমাধানের জন্য। অর্জিত লক্ষ্য তখন পরবর্তী লক্ষ্য নির্ধারণ ও সমস্যা সমাধানের জন্য প্রাথমিক ভিত্তি হিসেবে কাজ করে<ref name=":44" />।
[[চিত্র:DesignThinking.ogv|থাম্ব|নকশা চিন্তন - ''শিশুদের ব্যায়ামে উৎসাহ দিতে একটি মুভমেন্ট সেন্সর ডিভাইস নকশা'' করার উদাহরণ]]
এই ধরণের শিক্ষাগত পদ্ধতির ভিত্তি হলো, আধুনিক বিশ্ব আসলে কৃত্রিম গঠনে পূর্ণ, এবং আমাদের সভ্যতা ঐতিহাসিকভাবে এই ধরনের কৃত্রিম জিনিসের ওপর নির্ভর করে প্রযুক্তিগত অগ্রগতি অর্জন করেছে। নকশা চিন্তনের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা হারবার্ট সাইমন বলেন, আজকের শিক্ষার্থীদের ঘেরা বিশ্ব প্রাকৃতিক জগতের চেয়ে অনেক বেশি কৃত্রিম<ref>Simon, H. A. (1996). ''The sciences of the artificial''. Cambridge, MA: MIT Press.</ref>। নকশা চিন্তনের চ্যালেঞ্জ হলো শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল চিন্তাভাবনার ক্ষমতা বাড়িয়ে উদ্ভাবনী দক্ষতা গড়ে তোলা<ref>Aflatoony, Leila & Ron Wakkary, (2015). ''Thoughtful Thinkers: Secondary Schooler’s Learning about Design Thinking.'' Simon Fraser University: Surrey, BC.</ref>।
নকশা চিন্তন একটি টুল হিসেবে ব্যবহৃত হয় প্রচলিত শিক্ষামূলক প্রকল্পগুলোকে প্রকল্প ভিত্তিক চিন্তার কাঠামোয় রূপান্তর করতে। ভ্যান মেরিয়েনবোয়ার (২০০৪) পুরো কাজ অনুশীলনের জন্য নকশা শেখাকে একটি কাঠামো হিসেবে দেখেছেন। এটি শিক্ষার্থীদের জন্য অন্তর্নিহিত জ্ঞানীয় চাপ কমায় এবং তারা সহজ উদাহরণের মাধ্যমে অনুশীলন করতে পারে<ref name=":402" />। এজন্যই নকশা চিন্তন বর্তমানে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। কারণ এটি শিক্ষার্থীর জানা ও শেখার মধ্যে সেতুবন্ধন গড়ে তোলে যা একবিংশ শতাব্দীর দক্ষতা অর্জনের প্রেক্ষাপটে গুরুত্বপূর্ণ। এই প্রক্রিয়ার একটি আরেকটি উদাহরণ হলো এমন একটি পণ্য নকশা করা। এটি শিশুদের শারীরিক কার্যকলাপ বাড়াতে সহায়তা করবে (উপরে উল্লিখিত ভিডিওটি দেখুন)। নিচে নকশা চিন্তনের কাঠামো ব্যবহার করে তা ব্যাখ্যা করা হয়েছে:
{| border="1"
|+'<nowiki/>'''''নকশা চিন্তনের উদাহরণ - শিশুদের ব্যায়ামে উৎসাহ দিতে একটি মুভমেন্ট সেন্সর ডিভাইস তৈরি''''''
!নকশা ধাপ
!ফলাফল
|-
|[[চিত্র:Empathy_-_Design_Thinking.png|কেন্দ্র|ফ্রেমহীন|113x113পিক্সেল]]
|'''মানুষদের থেকে শেখা''' - "কিভাবে একটি মুভমেন্ট সেন্সর ডিভাইস ব্যবহারে আগ্রহ সৃষ্টি করা যায়?" যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে শিশুদের তাদের পছন্দ, অভ্যাস, বিরক্তির কারণ জানাতে বলা হয়। গড়পড়তা শিশুদের পাশাপাশি অতিমাত্রায় সক্রিয় এবং অতি নির্জীব শিশুদেরও সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়। এই চরমপন্থী শিশুরা সাধারণ শিশুদের চাহিদা আরও ভালোভাবে ব্যাখ্যা করতে সক্ষম।
|-
|[[চিত্র:Define_-_Design_Thinking.png|কেন্দ্র|ফ্রেমহীন|111x111পিক্সেল]]
|'''ধরন খোঁজা''' - সাক্ষাৎকারের ফলাফল পোস্ট-ইট নোটে লিখে সংগঠিত করা হয়। এমন ধরন খোঁজা হয় যা সুযোগ তৈরি করে। কেউ কেউ বলেছে তারা খেলাধুলার সময় সামাজিক হতে চায়, আবার কেউ বলেছে তারা ব্যায়ামের সময় অন্যদের সাথে কথা বলতে পছন্দ করে।
|-
|[[চিত্র:Ideate_-_Design_Thinking.png|কেন্দ্র|ফ্রেমহীন|111x111পিক্সেল]]
|'''নকশা নীতিমালা''' - গবেষণার মাধ্যমে কিছু নির্দিষ্ট নকশা নীতিমালা তৈরি করা হয়েছে, যেমন—"সব সময় সামাজিক মিথস্ক্রিয়া সহজ করা", "প্রথমেই পুরস্কার বৃদ্ধি করে অংশগ্রহণ বাড়ানো", "শুধু শিশু নয়, পারিবারিকভাবে সক্রিয় হওয়ার প্রেরণা দেওয়া", "বাড়িতে থাকা শিশুদের প্রতি বিশেষ নজর দেওয়া"। এই নীতিমালাগুলো প্রোটোটাইপ নকশাের দিকনির্দেশনা হিসেবে কাজ করে।
|-
|[[চিত্র:Prototype_-_Design_Thinking.png|কেন্দ্র|ফ্রেমহীন|111x111পিক্সেল]]
|'''বাস্তব রূপ দেওয়া''' - এই নীতিমালাগুলো কিভাবে একটি ব্যবহারযোগ্য পণ্যে রূপান্তর করা যায়? এই নীতিমালার ভিত্তিতে প্রোটোটাইপ তৈরি করা হয়।
|-
|[[চিত্র:Test_-_Design_Thinking.png|কেন্দ্র|ফ্রেমহীন|111x111পিক্সেল]]
|'''পুনরাবৃত্তি করা''' - কাগজ-কলমে ইলেকট্রনিক ডিভাইসের ইন্টারফেসের মকআপ তৈরি করা হয় এবং শক্ত কাগজ ও টেপ ব্যবহার করে যন্ত্র তৈরি করা হয়। শিশুদের জন্য ডিজিটাল ও বাস্তব মডেল তৈরি করে তা পরীক্ষা ও মতামত নেওয়া হয়। চূড়ান্ত ফলাফল হয় একটি পরিশোধিত মডেল। এটি এই প্রতিক্রিয়ার ভিত্তিতে তৈরি।
|}
=== কৃত্রিম জগতে নকশা নিয়ে সমালোচনামূলক চিন্তা ===
নকশা চিন্তনের ইতিহাস নির্দিষ্ট কিছু পণ্ডিতের মাধ্যমে চিহ্নিত করা যায়, যেমন হারবার্ট সাইমন, ডোনাল্ড শন এবং নাইজেল ক্রস। সাইমন ১৯৬৯ সালে শিক্ষার জগতে পেশাগত ফাঁক নিয়ে তার গবেষণা প্রকাশ করেন। তিনি লক্ষ্য করেন, প্রাকৃতিক বিজ্ঞানের মতো, কৃত্রিম জগতে জটিল বিষয়গুলোর সরলতা উদঘাটন করাও বিজ্ঞানীদের মতোই প্রয়োজন<ref name=":45">Koh, Joyce Hwee Ling, Chin Sing Chai, Benjamin Wong, & Huang-Yao Hong. (2015) ''Design Thinking for Education.'' Singapore: Springer Science + Business Media.</ref>। এর মধ্যে শুধু বিজ্ঞান নয়, কলা ও মানববিদ্যার প্রক্রিয়াও অন্তর্ভুক্ত হওয়া উচিত। কারণ সঙ্গীতের মধ্যেও গণিতের মতো কাঠামোগত প্যাটার্ন আছে (সাইমন, ১৩৬)। তাই সবার সৃজনশীল নকশা একটি সাধারণ ভাষা ও তার প্রয়োগের ওপর ভিত্তি করে।
ডোনাল্ড শন, যিনি এমআইটি-তে আরবান প্ল্যানিং ও শিক্ষার ফোর্ড অধ্যাপক ছিলেন, নকশা চিন্তন-কে একটি শিল্প এবং অন্তর্জ্ঞানভিত্তিক সমস্যা সমাধানের প্রক্রিয়া হিসেবে বর্ণনা করেন<ref name=":46">Schon, D. A. (1983). ''The reflective practitioner: How professionals think in action'' (Vol. 5126). New York, NY: Basic Books.</ref>। শন উপলব্ধি করেন, নকশা প্রক্রিয়ার একটি অংশ হলো সেই “ক্রিয়ার মধ্যে প্রতিফলন” যা সমালোচনামূলক চিন্তা ও ধারণা তৈরির সময় আবশ্যক। সমস্যা সমাধানের সমাধান কেবল পাঠ্যবইয়ে থাকে না; বরং নকশাকারদের নিজস্ব প্রেক্ষাপট অনুধাবনের ক্ষমতার মধ্যেই তা নিহিত থাকে<ref name=":45" />।
ক্রস এই পূর্ববর্তী ধারণাগুলোকে শিক্ষার প্যাডাগজিতে রূপান্তর করেন এবং বলেন নকশা চিন্তন বিজ্ঞানের পাশাপাশি মানববিদ্যায়ও সাধারণ শিক্ষার অংশ হওয়া উচিত<ref name=":44" />। তিনি মনে করেন, শিক্ষার্থীরা যদি এই চিন্তার পদ্ধতি ব্যবহার করে উৎসাহিত হয়, তবে তাদের নন-ভার্বাল চিন্তা ও যোগাযোগ দক্ষতা উন্নত হবে<ref name=":44" />।
=== বিঘ্ন ঘটানো অর্জন হিসেবে সমালোচনামূলক চিন্তা ===
নকশা চিন্তন একটি নির্দিষ্ট প্রবাহ অনুসরণ করে — তাত্ত্বিক থেকে ব্যবহারিক দিকে। এটি কার্যকর শিক্ষার্থী সমাধান উদ্ভাবনের জন্য নির্দেশিত শিক্ষার ওপর নির্ভর করে এবং শুধু অনুসন্ধানের ওপর নয়। কারণ কেবল অনুসন্ধান দীর্ঘমেয়াদী স্মৃতির সীমা অতিক্রম করতে পারে না বলে মনে করা হয়<ref name=":44" />। নকশা চিন্তন শিক্ষার্থীকে তাদের প্রক্রিয়া সম্পর্কে মেটা-অ্যানালাইসিস করতে বাধ্য করে। সৃজনশীলতা (উদ্ভাবনী চিন্তা) নকশা চিন্তনে স্পষ্ট হয়, যখন এটি স্মৃতি উদ্দীপনায় মনোযোগ বিভাজন এবং মনোযোগ কেন্দ্রীকরণের মাধ্যমে উদ্ভাসিত হয়<ref name=":44" />। হু প্রমুখ (২০১০) একটি গবেষণায় চার বছরের একটি নির্দিষ্ট পাঠদান পদ্ধতিতে প্রাথমিক শিক্ষার্থীদেরকে যৌক্তিক চিন্তার মাধ্যমে নকশা প্রকল্পের জন্য ‘ডিসরাপটেড থিংকিং’ প্রয়োগ করতে শেখান। ফলাফল থেকে দেখা যায় যে তাদের চিন্তার ক্ষমতা (এসডি .78) বৃদ্ধি পায় এবং এটি দীর্ঘমেয়াদে শিক্ষাগত সাফল্য বৃদ্ধি করে<ref>Hu, Weiping, Philip Adey, Xiaojuan Jia, Jia Liu, Lei Zhang, Jing Li, Xiaomei Dong. (2010). Effects of a “Learn to Think” Intervention programme on primary school students. ''British Journal of Educational Psychology''. 81(4) 537-557.</ref>। এটি সৃজনশীল প্রক্রিয়ায় বিচ্ছিন্ন ও সমন্বিত চিন্তার ব্যবহার প্রমাণ করে। এটি দীর্ঘমেয়াদি স্মৃতির সঙ্গে সম্পর্কিত উচ্চ পর্যায়ের চিন্তার ইঙ্গিত দেয়। নকশা চিন্তন স্পষ্টভাবে শিক্ষার্থীদের এই ক্ষমতা অর্জনে সহায়তা করে।
=== নকশাকাররা কি বৈজ্ঞানিক নন? ===
নকশা চিন্তনের সমালোচকরা বলেন, নকশা নিজেই কোনো বিজ্ঞান নয় কিংবা কোনো জ্ঞানীয় শেখার পদ্ধতি নয়; এটি অন্তর্জ্ঞানভিত্তিক হওয়ায় অবৈজ্ঞানিক কাজ হিসেবে বিবেচিত। শিক্ষার্থীরা এখানে প্রকৃত জ্ঞানীয় অনুশীলনের (যেমন—বৈজ্ঞানিক যুক্তি প্রয়োগ) মধ্যে থাকে না। তবে ক্রস-এর বিশ্বাস হলো নকশা নিজেই একটি বিজ্ঞান। এটি নিয়মিত ও নির্ভরযোগ্য পদ্ধতিতে অধ্যয়ন করা যায়<ref name=":44" />। এছাড়াও শন বলেন, নকশা চিন্তনে তত্ত্ব ও অনুশীলনের মধ্যে সংযোগ রয়েছে। এর ফলে একটি তাত্ত্বিক ধারণা বাস্তব প্রোটোটাইপে রূপান্তরিত হয়<ref name=":46" />। নকশা চিন্তন হলো একটি বৈজ্ঞানিক জ্ঞানীয় অনুশীলন। এর মধ্যে রয়েছে প্রতিফলনমূলক অনুশীলন ও মেটা-চিন্তা। এই পদ্ধতি সেই প্রাকৃতিক ব্যবধান পূরণ করে। এটি তত্ত্ব ও বাস্তবতার মধ্যে দেখা যায়, এবং শিক্ষার্থীকে প্রচলিত পাঠ্যবইয়ের সীমা অতিক্রম করে নতুন কিছু করার সুযোগ দেয়। নকশা চিন্তন ক্লায়েন্ট বা বিশেষজ্ঞদের অনুমানভিত্তিক প্রতিক্রিয়ার পরিবর্তে এমন ফর্মে রূপ নেয় যা অপ্রত্যাশিত হতে পারে<ref name=":46" />।
=== একবিংশ শতাব্দীর শিক্ষার্থী ও বিচিত্র চিন্তার প্রয়োজন ===
নকশা চিন্তন একবিংশ শতাব্দীর প্রযুক্তি-ভিত্তিক দক্ষতার জন্য উপযুক্ত। এটি মূলত প্রযুক্তির প্রয়োগের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল ও সমালোচনামূলক দক্ষতা গড়ে তুলতে সহায়তা করে। নকশা হলো একটি আলাদা ধরনের চিন্তা। এটি একটি নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য পূরণের জন্য গুণগত সম্পর্ক তৈরি করে<ref name=":47">Wells, Alastair. (2013). The importance of design thinking for technological literacy: a phenomenological perspective''.'' ''International Journal Technol Des Educ.'' (23:623-636). DOI 10.1007/s10798-012-9207-7.</ref>। আরও স্পষ্ট করে বললে, এক বিশ্ব যা দ্রুত প্রযুক্তিনির্ভর হয়ে উঠছে, নকশা চিন্তন শিক্ষার্থীদের ‘অনুভবে নির্ভর করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ’, সূক্ষ্মতা বোঝার ক্ষমতা এবং তাদের কাজের পরিণতি মূল্যায়নের সক্ষমতা তৈরি করে<ref name=":47" />। নকশাকারকে প্রচলিত সমাধানের বাইরে চিন্তা করতে হয় এবং বর্তমান প্রযুক্তি ব্যবহার করতে জানতে হয়।
সুতরাং, নকশা চিন্তন ব্যবহারকারী শিক্ষার্থীরা প্রযুক্তির সমস্ত রূপকে সম্ভাব্য সমাধানের একটি প্রয়োগ হিসেবে বিবেচনা করে এগিয়ে যাচ্ছে। প্রোটোটাইপ তৈরি কেবল হার্ডওয়্যার প্রয়োগেই সীমাবদ্ধ নয়, এর মধ্যে সফটওয়্যার ব্যবহারের কথাও অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। অগমেন্টেড রিয়ালিটি এবং ভার্চুয়াল রিয়ালিটির মতো সর্বাধুনিক প্রযুক্তিও নকশা চ্যালেঞ্জের সমাধান হিসেবে গ্রহণযোগ্য হতে পারে।
ফলে, নকশা চিন্তনের নির্দিষ্ট প্রয়োগ সেইসব অধ্যয়নের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, যেগুলো প্রযুক্তিগত অভিযোজন এবং উদ্ভাবনের প্রয়োজন। বিশেষভাবে, K-12 BC নতুন পাঠ্যক্রম (২০১৬) তে ফলিত নকশা, দক্ষতা এবং প্রযুক্তির উপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। এখানে প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে তাদের পুরো শিক্ষাজীবন জুড়ে নকশা চিন্তনের জ্ঞান থাকা এবং প্রযুক্তির অগ্রগতির জন্য এর প্রয়োগ থাকা জরুরি। সুতরাং, নকশা চিন্তন শিক্ষার্থীদের সমালোচনামূলক চিন্তার প্রক্রিয়ায় সম্পৃক্ত করার জন্য একটি প্রাসঙ্গিক ও অপরিহার্য উপাদান।
= যুক্তি =
যুক্তি প্রদান একটি প্রক্রিয়া। এর মাধ্যমে কোনো ধারণার পক্ষে বা বিপক্ষে যুক্তি সংগঠিত ও উপস্থাপন করা হয়; অর্থাৎ এটি যুক্তি তৈরি ও প্রদর্শনের একটি কাজ। স্পষ্ট যোগাযোগের পাশাপাশি সমালোচনামূলক চিন্তা একটি ভাল যুক্তির উপাদান। এটি এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে একজন ব্যক্তি যুক্তিসঙ্গতভাবে সমস্যা, বিষয় ও বিরোধের সমাধান করে এবং প্রশ্নগুলোর সমাধান খোঁজে <ref name="jonassen">Jonassen, D.H., & Kim, B. (2010). Arguing to learn ad learning to argue: design justifications and guidelines. Education Technology & Research Development, 58(4), 439-457. DOI 10.1007/s11423-009-9143-8.</ref>।
যুক্তি প্রদানের চর্চায় দুটি মাত্রা রয়েছে: সংলাপ এবং কাঠামো <ref name="macagno">Macagno, F., Mayweg-Paus, W., & Kuhn, D. (2014). Argumentation theory in Education Studies: Coding and Improving Students’ Argumentative Strategies. Topoi, 34, 523-537.</ref>। যুক্তিতর্কপূর্ণ আলোচনায় সংলাপ নির্দিষ্ট ভাষিক কার্যক্রমের উপর ভিত্তি করে – যেমন গ্রহণ, প্রত্যাখ্যান, খণ্ডন ইত্যাদি। এটি বক্তার অবস্থানকে এগিয়ে নিতে সাহায্য করে। একটি যুক্তির কাঠামো আলোচনার বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গিকে আলাদা করে এবং বক্তারা যেসব অবস্থানের পক্ষে যুক্তি দিচ্ছেন তা স্পষ্ট করে <ref name="macagno" />।
== শিক্ষকেরা প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষার বাস্তবায়নে চ্যালেঞ্জ অনুভব করেন ==
এই ধরনের শিক্ষার বিরুদ্ধে একটি প্রধান যুক্তি হলো প্রকল্পটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে পড়তে পারে এবং শ্রেণিকক্ষে যথাযথ সময় না পাওয়ায় কার্যকর সমাধান তৈরির সুযোগ নাও থাকতে পারে। শিক্ষকেরা নিজেরাই প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষারকে গুরুত্ব দেন না কারণ এর বাস্তবায়নে তাদের প্রশিক্ষণ ও প্রয়োজনীয় পটভূমিগত জ্ঞান নেই। প্রযুক্তির মাধ্যমে কার্যকর মূল্যায়ন দিতে আর্থিক সীমাবদ্ধতাও শিক্ষকদের নিরুৎসাহিত করে (এফস্ট্রাটিয়া, ২০১৪, পৃষ্ঠা ১২৫৮)। শিক্ষার্থীরা যে তথ্য অর্জন করে তা বক্তৃতাভিত্তিক শিক্ষা দিয়েও প্রদান করা যায় এবং সমালোচকদের মতে তেমনটাই কার্যকর। তদুপরি, ঝুঁকি হলো শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষে সময় অপচয় করে এবং যদি তারা নিয়মিতভাবে কাজ ও শিক্ষাসংক্রান্ত বিষয়ে মনোযোগী না থাকে, তবে প্রকল্পটি সফল হবে না। প্রচলিত শিক্ষাপদ্ধতির শিক্ষকেরা মনে করেন, প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা শিক্ষার্থীদের বিষয়বস্তুর সাথে সংযোগ রক্ষা এবং সময় ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব শিক্ষকের উপর ফেলে। এটি সকল শিক্ষক রপ্ত করতে পারেন, এমন কোনো শিক্ষাদান পদ্ধতি নয় যা (এফস্ট্রাটিয়া, ২০১৪, পৃষ্ঠা ১২৫৮)।
== সমালোচনামূলক চিন্তার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের আসল ফলাফলের প্রয়োজন ==
প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা বিভিন্ন বিষয়ে প্রযোজ্য কারণ এর রয়েছে শিক্ষায় বহু প্রয়োগ এবং এটি একবিংশ শতাব্দীর শিক্ষার পুনঃসংজ্ঞায়নের (বিভিন্নীকরণ, প্রযুক্তিনির্ভরতা, সহযোগিতা, আন্তঃবিষয়কতা) সঙ্গে বিশেষভাবে প্রাসঙ্গিক। STEM (বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল, গণিত) হলো এমন একটি একবিংশ শতাব্দীর শিক্ষা পদ্ধতি যা প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা ব্যবহারকারী শিক্ষকদের কাছ থেকে উপকৃত হয় কারণ এটি স্বাভাবিকভাবেই বিভিন্ন ক্ষেত্রের মধ্যে সেতুবন্ধ তৈরি করে। STEM এর লক্ষ্য হলো মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার জন্য প্রস্তুত করা এবং তারা যেন বাস্তব জীবনের কাজের জগতে দলবদ্ধভাবে জটিল সমস্যা সমাধান করতে সক্ষম হয়। চিকিৎসা, প্রকৌশল, কম্পিউটার নকশা ও শিক্ষা সহ অনেক সম্ভাব্য পেশা প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা থেকে উপকৃত হতে পারে।
প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের তাদের জ্ঞান বিস্তারের সুযোগ দেয় এবং উচ্চ-চাপের পরিস্থিতিতে সাফল্য অর্জনের পথ তৈরি করে (ক্যাপ্রারো, প্রমুখ, ২০১৩, পৃষ্ঠা ২)। উপরন্তু, এই শিক্ষার্থীরাই তাদের শক্তি ও সীমাবদ্ধতার প্রতি আত্মবিশ্লেষণমূলক দৃষ্টিভঙ্গি অর্জন করে (ক্যাপ্রারো, প্রমুখ, ২০১৩, পৃষ্ঠা ২)। ফলাফল হলো এমন এক শিক্ষার্থী যে সমালোচনামূলক চিন্তায় দক্ষ এবং বাস্তব পরিস্থিতিতে তা প্রয়োগ করার সুযোগ পেয়েছে। উপরন্তু, একটি সমাপ্ত পণ্য নির্মাণ শেখার আসল ফলাফলের উপস্থাপনার একটি বাস্তব প্রত্যাশা। এই পণ্যের ফলাফল দায়বদ্ধতা দাবি করে এবং শিক্ষকের প্রত্যাশা ও প্রকল্পের সীমাবদ্ধতার প্রতি শিক্ষার্থীর অনুগত্য দেখায় (ক্যাপ্রারো, প্রমুখ, ২০১৩, পৃষ্ঠা ২)। শিক্ষার্থী নির্দিষ্ট ফলাফলের উপর মনোযোগ দেয়, কাজের পরিসীমা বোঝে এবং একটি কার্যকর বস্তু উপস্থাপন করে। এর তাৎপর্য হলো শিক্ষার্থীরা উচ্চ-প্রযুক্তিসম্পন্ন, দ্রুতগামী কর্মপরিবেশের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকবে যেখানে উদ্ভাবন, সহযোগিতা এবং ফলাফলের ভিত্তিতে তৈরি পণ্যই সফলতার মূল।
প্রযুক্তি এমন একটি ক্ষেত্র যেখানে প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা ব্যবহার করে বাস্তব জগতে প্রয়োগযোগ্য দক্ষতা গড়ে তোলা যায়। উদাহরণস্বরূপ, কম্পিউটার সিস্টেম নকশাকাররা পূর্বের জ্ঞান থাকায় হয়তো একটি অপারেটিং সিস্টেমের ত্রুটি খুঁজে বের করতে পারেন, কিন্তু তারা সত্যিই বোঝেন না কিভাবে বিভিন্ন উপাদান একসাথে কাজ করে, ফলে তারা তাদের দক্ষতা নিয়ে ভুল আত্মবিশ্বাসে ভোগেন (গ্রে, ২০১৩, পৃষ্ঠা ১)।
== বিঘ্নকারী সাফল্য হিসেবে সমালোচনামূলক চিন্তা ==
নকশা চিন্তন একটি নির্দিষ্ট ধারা অনুসরণ করে যা তত্ত্ব থেকে বাস্তবে রূপান্তরিত হয়। এটি কার্যকর শিক্ষার্থী সমাধান প্রচারে নির্দেশিত শিক্ষার উপর নির্ভর করে এবং অনুসন্ধানের সীমা অতিক্রম করে কারণ অনেক গবেষক মনে করেন, শুধুমাত্র অনুসন্ধান কার্যকর নয় কারণ এটি দীর্ঘমেয়াদী স্মৃতির সীমা অতিক্রম করে (ল্যাজোন্ডার এবং হার্মসেন, ২০১৬, পৃষ্ঠা ২)। নকশা চিন্তন শিক্ষার্থীকে তাদের প্রক্রিয়ার উপর মেটা-অ্যানালাইসিস করতে উৎসাহিত করে। সৃজনশীলতা (উদ্ভাবনী চিন্তা) নকশা চিন্তনে স্পষ্ট হয়। এটি মনোযোগের বিস্তার এবং মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করার মাধ্যমে স্মৃতিকে উদ্দীপিত করে (গোল্ডস্মিট, ২০১৬, পৃষ্ঠা ১)। হু প্রমুখ (২০১০) একটি প্রক্রিয়া তৈরি করেন যাতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নির্দিষ্ট নকশা প্রকল্পের প্রতি যৌক্তিক সমালোচনামূলক চিন্তা প্রয়োগ করে, নির্দিষ্ট পাঠ পদ্ধতির মাধ্যমে চার বছরের সময়কালে। গবেষণার ফলাফল দেখায়, এই শিক্ষার্থীদের চিন্তার ক্ষমতা (এসডি .78) বৃদ্ধি পায় এবং এই প্রভাব দীর্ঘমেয়াদে অ্যাকাডেমিক সাফল্য বৃদ্ধিতে সহায়ক হয় (হু, প্রমুখ। ২০১০, পৃষ্ঠা ৫৫৪)। এটি সৃজনশীল প্রক্রিয়ায় বিচিত্র ও সঙ্কলিত চিন্তার ব্যবহার নির্দেশ করে এবং এই দুই ধরনের চিন্তা সৃজনশীলতায় গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করা হয়েছে (গোল্ডস্মিট, ২০১৬, পৃষ্ঠা ২)। এটি উচ্চ স্তরের চিন্তার প্রতিফলন এবং দীর্ঘমেয়াদী স্মৃতির সাথে সংশ্লিষ্ট। নকশা চিন্তন বিশেষভাবে শিক্ষার্থীদের উন্নয়নে সক্ষমতা প্রদর্শন করে।
== যুক্তি প্রদানের প্রক্রিয়া ==
=== যুক্তির স্তরসমূহ ===
মানসিক প্রক্রিয়া যা একজনকে যুক্তি তৈরি, বিশ্লেষণ ও মূল্যায়নে সক্ষম করে <ref name="horn">Hornikx, J., & Hahn, U. (2012). Reasoning and argumentation: Towards an integrated psychology of argumentation. Thinking & Reasoning, 18(3), 225-243. DOI: 10.1080/13546783.2012.674715.</ref>। এই স্তরগুলো এই অধ্যায়ে পরে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হবে।
{| class="wikitable"
|১. '''উৎপাদন'''
|কীভাবে কেউ একটি দৃষ্টিভঙ্গি, মতামত বা দাবির পক্ষে যুক্তি তৈরি করে।
|-
|২. '''বিশ্লেষণ'''
|প্রস্তাবিত যুক্তিগুলোর বৈধতা মূল্যায়ন।
|-
|৩. '''মূল্যায়ন'''
|একটি যুক্তির বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি অনুসন্ধান।
|}
== শিক্ষায় যুক্তি প্রদানের প্রভাব ==
যুক্তি প্রদান কেবল সমালোচনামূলক চিন্তা এর বিকাশকে প্রভাবিত করে না, বরং শিক্ষার অন্যান্য দিকেও প্রভাব ফেলে। উদাহরণস্বরূপ, একটি জুনিয়র হাই স্কুলের বিজ্ঞান শ্রেণিতে পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, শিক্ষার্থীরা যুক্তি প্রদানে অংশগ্রহণ করলে তারা তাদের পূর্বজ্ঞান ও অভিজ্ঞতার উপর নির্ভর করে <ref name="aufs">Aufschnaiter, C., Erduran, S., Osborne, J., & Simon, S. (2008). Arguing to learn and learning to argue: Case studies of how students' argumentation relates to their scientific knowledge. Journal of Research in Science Teaching, 45(1), 101-131. doi:10.1002/tea.20213</ref>। কেবল পূর্বজ্ঞান প্রয়োগই নয়, যুক্তি প্রদান শিক্ষার্থীদের জ্ঞানকে একত্রিত করতে এবং বিষয়টির উচ্চতর পর্যায়ে বোঝাপড়া বাড়াতে সাহায্য করে <ref name="aufs" />। এগুলো শিক্ষায় যুক্তি প্রদানের প্রভাবের কয়েকটি উদাহরণ মাত্র।
ভিডিও: শিক্ষায় যুক্তি: https://www.youtube.com/watch?v=YHm5xUZmCDg
= সমালোচনামূলক চিন্তা ও যুক্তির মধ্যে সম্পর্ক =
যুক্তি প্রদান ও সমালোচনামূলক চিন্তা শিক্ষাদানে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কযুক্ত বলে মনে হয়। অনেক গবেষণায় এই দুটি উপাদান একে অপরকে কিভাবে প্রভাবিত করে তা দেখানো হয়েছে। তথ্য উপাত্ত অনুযায়ী, যখন শিক্ষায় সমালোচনামূলক চিন্তা অন্তর্ভুক্ত করা হয়, তখন এটি শিক্ষার্থীদের যুক্তি প্রদানের ক্ষমতাকে প্রভাবিত করে <ref>Bensley, A., Crowe, D., Bernhardt, P., Buckner, C., & Allman, A. (2010). Teaching and assessing CT skills for argument analysis in psychology. Teaching of Psychology, 37(2), 91-96. doi:10.1080/00986281003626656</ref>। যেসব কার্যক্রমে সমালোচনামূলক চিন্তা এবং সৃজনশীল চিন্তা উভয়ের প্রয়োজন, সেগুলোকে যুক্তিকেন্দ্রিক হওয়া উচিত <ref>Glassner, A., & Schwarz, B. B. (2007). What stands and develops between creative and critical thinking? argumentation?. Thinking Skills and Creativity, 2(1), 10-18. doi:10.1016/j.tsc.2006.10.001</ref> এবং যুক্তি বিশ্লেষণ ও গল্প বলার মাধ্যমে সমালোচনামূলক চিন্তা উন্নত করা যায় <ref>Gold J., Holman D., & Thorpe R. (2002). The role of argument analysis and story telling in facilitating critical thinking. Management Learning, 33(3), 371-388. doi:10.1177/1350507602333005</ref>। অর্থাৎ, বলা যায় যে সমালোচনামূলক চিন্তা ও যুক্তি উভয়ই একে অপরের বিকাশকে প্রভাবিত করে এবং শিক্ষার ও জ্ঞানের অন্যান্য ক্ষেত্রেও এদের প্রভাব রয়েছে।
== সমালোচনামূলক চিন্তা কীভাবে যুক্তিকে উন্নত করে ==
সমালোচনামূলক চিন্তা এমন তথ্যের মূল্যায়নে সহায়তা করে যা একটি যুক্তি তৈরির জন্য প্রয়োজন। এটি প্রতিটি অবস্থানের বৈধতা যাচাইয়ে সাহায্য করে। এটি উৎসের বিশ্বাসযোগ্যতা মূল্যায়নে ব্যবহৃত হয় এবং বিষয়টি একাধিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বিশ্লেষণে সহায়তা করে।
সমালোচনামূলক চিন্তা এবং যুক্তির উপাদানগুলোর মধ্যে অনেক সাধারণ বৈশিষ্ট্য রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, একটি বিবৃতির পক্ষে ও বিপক্ষে প্রমাণ পর্যালোচনা করা এবং যেসব তথ্য সেই দাবিগুলোর ভিত্তি গঠন করে, সেগুলো পরীক্ষা করা — এ দুটি ক্ষেত্রই একটি সঠিক যুক্তি তৈরি এবং সমালোচনামূলক চিন্তার অংশ।
এই অংশে উল্লেখিত চারটি সমালোচনামূলক চিন্তা উপাদানের আলোকে সমালোচনামূলক চিন্তা কিভাবে যুক্তি প্রদানের ক্ষমতাকে প্রভাবিত করে, তা বিশ্লেষণ করা হবে। প্রথমত, ব্রুনিং প্রমুখ (২০১১) অনুসারে, জ্ঞানের উপাদান সমস্যার সমাধান প্রক্রিয়াকে সক্রিয়ভাবে প্রভাবিত করে <ref name="bruningrh">Bruning, R. H., Schraw, G. J., & Norby, M. M. (2011). Cognitive psychology and instruction (5th ed.) Pearson.</ref>। সুতরাং, শিক্ষার্থীদের যা নিয়ে তারা যুক্তি দিচ্ছে, সেই বিষয়ে যথাযথ জ্ঞানের ভিত্তি থাকা আবশ্যক। ভালোভাবে প্রতিষ্ঠিত তথ্য ব্যবহার করে নতুন তথ্যের বিশ্বাসযোগ্যতা বিশ্লেষণ করতে পারার ক্ষমতা সেই শিক্ষার্থীদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যারা তাদের যুক্তি প্রদানের দক্ষতা বাড়াতে চায়। দ্বিতীয় উপাদান হলো '''অনুমান'''। চেসেভার এবং সিমারি (২০০৭) তাদের যুক্তি নির্মাণ নিয়ে আলোচনায় যেমনটি উল্লেখ করেছেন, তথ্য থেকে নতুন সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর ক্ষেত্রে '''যুক্তিপূর্ণ অনুমান''' একটি অপরিহার্য উপাদান<ref>Chesñevar, I., & Simari, G. (2007). Modelling inference in argumentation through labelled deduction: Formalization and logical properties. Logica Universalis, 2007, Volume 1, Number 1, Page 93, 1(1), 93-124. doi:10.1007/s11787-006-0005-4</ref>
[[চিত্র:Reasoning.jpg|থাম্ব|উপসংহার ও অনুমান—উভয়ই সমালোচনামূলক চিন্তন এবং যুক্তিবিদ্যায় গুরুত্বপূর্ণ।]]
অর্থাৎ, পূর্বে প্রাপ্ত তথ্য থেকে সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর ক্ষমতা একটি যুক্তির উন্নয়ন এবং তা বিস্তারিতভাবে উপস্থাপনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। একইভাবে, '''অনুমানভিত্তিক চিন্তন'''। এটি সমালোচনামূলক চিন্তনের একটি অংশ, যুক্তির গঠনে গুরুত্বপূর্ণ। বার্নিং ও তার সহকর্মীদের মতে, বিদ্যমান তথ্য থেকে একটি সাধারণ সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতাসমালোচনামূলক চিন্তনপ্রক্রিয়ার একটি অপরিহার্য অংশ<ref name="bruningrh2" />। ওন্টান এবং প্লাজা (২০১৫) যুক্তি দেন,, অনুমান যোগাযোগের মাধ্যমে যুক্তি গঠনে ব্যবহৃত হতে পারে। তদুপরি, একটি দলের প্রতিটি সদস্যের দেওয়া তথ্য একত্র করে সাধারণ সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর প্রক্রিয়া দেখায়, অনুমান কীভাবে যুক্তিতে পারস্পরিক সহযোগিতাকে ফলপ্রসূ করতে পারে<ref>Ontañón, S., & Plaza, E. (2015). Coordinated inductive learning using argumentation-based communication. Autonomous Agents and Multi-Agent Systems, 29(2), 266-304. doi:10.1007/s10458-014-9256-2</ref>। তাই এটি স্পষ্ট যেসমালোচনামূলক চিন্তনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে অনুমান যুক্তি এবং সহযোগিতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।সমালোচনামূলক চিন্তনের শেষ উপাদান। এটি সম্ভবত যুক্তির সাথে সবচেয়ে বেশি সম্পর্কযুক্ত, সেটি হলো '''মূল্যায়ন'''। বার্নিং ও তার সহকর্মীরা মূল্যায়নের উপাদান হিসেবে বিশ্লেষণ, বিচার এবং পরিমাপের কথা বলেন। এই তিনটি উপাদান একটি সফল যুক্তি গঠনের জন্য অপরিহার্য <ref name="bruningrh2" />। হর্নিক্স এবং হ্যান (২০১২) যুক্তি গঠনের তিনটি মূল উপাদানের একটি কাঠামো প্রদান করেন। এটি বার্নিং ও তার সহকর্মীদের উল্লেখিতসমালোচনামূলক চিন্তনের উপাদানের সঙ্গে গভীরভাবে সম্পর্কযুক্ত<ref name="horn2" />।
=== উৎপাদন, বিশ্লেষণ ও মূল্যায়ন ===
হর্নিক্স এবং হ্যান তাদের গবেষণায় যুক্তি গঠনের যে তিনটি দিকের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন, তা হলো '''উৎপাদন''', '''বিশ্লেষণ''' এবং '''মূল্যায়ন'''<ref name="horn2" />। যুক্তি উৎপাদনেসমালোচনামূলক চিন্তনের মূল উপাদানগুলো ব্যবহৃত হয়; এর মধ্যে থাকে মূল্যায়ন, বিশ্লেষণ, বিচার এবং একজন যে যুক্তির ওপর দৃঢ় অবস্থান নিতে চান, সেটির যথার্থতা নির্ণয়। যুক্তির বিশ্লেষণ এবংসমালোচনামূলক চিন্তনবিশ্লেষণ একসাথে চলে। কারণ একটি সফল এবং যথার্থভাবে সমর্থিত যুক্তি গঠনে তথ্য ও মতামতের সমালোচনামূলক বিশ্লেষণ আবশ্যক। একইভাবে, মূল্যায়নও যুক্তি বিশ্লেষণে ব্যবহৃত হয় কারণ এটিসমালোচনামূলক চিন্তনথেকে উদ্ভূত। তথ্যের উৎস এবং নির্ভরযোগ্যতা যাচাই একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটিতে কেউ তথ্যপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। সমালোচনামূলক চিন্তনের মূল্যায়নের চূড়ান্ত দিক হলো মেটাকগনিশন, অর্থাৎ নিজের চিন্তা নিয়ে চিন্তা করা বা নিজস্ব চিন্তাকে মনিটর করা <ref name="bruningrh2" />। নিজের চিন্তা পর্যবেক্ষণ এবং নেওয়া সিদ্ধান্তগুলোর যৌক্তিকতা বুঝে নেওয়া যুক্তি গঠনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। পিন্টু ও তার সহকর্মীদের গবেষণা অনুসারে, যুক্তি দেওয়ার ক্ষমতা এবং মেটাকগনিশনের মধ্যে একটি শক্তিশালী সম্পর্ক রয়েছে<ref>Pinto, M., Iliceto, P., & Melagno, S. (2012). Argumentative abilities in metacognition and in metalinguistics: A study on university students. European Journal of Psychology of Education, 27(1), 35-58. doi:10.1007/s10212-011-0064-7</ref>। অন্যভাবে বললে, একজন ব্যক্তি নিজের চিন্তা ও তার যথার্থতা নিয়ে যত বেশি ভাবতে পারেন, ততই তারা সুসংগঠিত যুক্তি প্রদান করতে সক্ষম হন। চিন্তাকে ভাষায় বা যুক্তিতে রূপান্তরের মাধ্যমে দেখা যায় যে,সমালোচনামূলক চিন্তনযুক্তি গঠনে ব্যাপক প্রভাব রাখে, যদিও কিছু গবেষণা এই সম্পর্কের পারস্পরিকতা নিয়ে বিভিন্ন দিকও তুলে ধরে।
প্রদত্ত গবেষণাগুলোর মাধ্যমে এটি স্পষ্ট হয় যে, জ্ঞ্যান, অনুমান, মূল্যায়ন এবং মেটাকগনিশনের মতো সমালোচনামূলক চিন্তন দক্ষতাগুলো যুক্তি গঠনের ওপর বড় প্রভাব ফেলে। তবে এর পাশাপাশি এটিও উঠে আসে যে, পাঠ্যক্রমেসমালোচনামূলক চিন্তনশেখানোর মাধ্যমে যুক্তি বিশ্লেষণ দক্ষতা বাড়ানো যায়। বেনসলি ও তার সহকর্মীদের (২০১০) একটি গবেষণা ইঙ্গিত দেয় যে, যখন কোনো কোর্সে সরাসরিসমালোচনামূলক চিন্তনশেখানো হয় এবং অন্য দলগুলোকে তা শেখানো না হয়, তখনসমালোচনামূলক চিন্তনশেখা দল যুক্তি বিশ্লেষণের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য উন্নতি করে<ref>Bensley, A., Crowe, D., Bernhardt, P., Buckner, C., & Allman, A. (2010). Teaching and assessing critical thinking skills for argument analysis in psychology. Teaching of Psychology, 37(2), 91-96. doi:10.1080/00986281003626656</ref>। যুক্তি গঠনে সমালোচনামূলক চিন্তন দক্ষতার ভূমিকা নিয়ে অনেক যুক্তি উপস্থাপন করা যায়, তবে এই গবেষণাটি দেখায়, সাধারণভাবেসমালোচনামূলক চিন্তনশেখানোর মাধ্যমেও শিক্ষার্থীদের যুক্তি বিশ্লেষণ ক্ষমতা বাড়ানো সম্ভব। যদি শিক্ষকরা শ্রেণিকক্ষে যুক্তি এবংসমালোচনামূলক চিন্তনউভয়ের বিকাশ চান, তাহলে এই বিষয়টি পরবর্তী অধ্যায়ের অংশে বিবেচনায় নেওয়া উচিত।
== কীভাবে যুক্তি গঠন সমালোচনামূলক চিন্তন উন্নত করে ==
যুক্তি গঠনসমালোচনামূলক চিন্তনপ্রক্রিয়ার একটি অংশ, এটি চিন্তার স্বচ্ছতা আনে এবং উপযুক্ত তথ্য বিশ্লেষণের ক্ষমতা বাড়ায়। এটি মেটাকগনিশনের অংশ। কারণ একজনকে নিজের ধারণাগুলোর মূল্যায়ন করতে হয়। সমালোচনামূলক চিন্তন দক্ষতা যেমন অনুমান ও/অথবা যুক্তিপূর্ণ সিদ্ধান্ত ব্যবহৃত হয় একটি সংগঠিত ও স্পষ্ট যুক্তি তৈরি করতে।
[[চিত্র:Toulmin_Argumentation_Example.gif|থাম্ব|টলমিন যুক্তি উদাহরণ—যুক্তি গঠনসমালোচনামূলক চিন্তনপ্রক্রিয়ার একটি অংশ, এটি চিন্তার স্বচ্ছতা আনে এবং উপযুক্ত তথ্য বিশ্লেষণের ক্ষমতা বাড়ায়। সমালোচনামূলক চিন্তন দক্ষতা যেমন অনুমান ও/অথবা যুক্তি ব্যবহৃত হয় একটি সংগঠিত ও স্পষ্ট যুক্তি তৈরি করতে।]]
গ্লাসনার এবং শোয়ার্জ (২০০৭) এর গবেষণায় দেখা যায়, যুক্তি গঠন সমালোচনামূলক এবং সৃজনশীল চিন্তার সংযোগস্থলে অবস্থান করে। তারা যুক্তি দেন,, কিশোরদের ক্ষেত্রে যুক্তি গঠনের মাধ্যমে চিন্তন হয়। এটি একাধারে সমালোচনামূলক এবং সৃজনশীল। তারা বলেন, চিন্তাভাবনা সবসময়ই অন্যান্য দৃষ্টিভঙ্গি ও তথ্য দ্বারা প্রভাবিত হয়। নতুন তথ্য নিয়ে সৃজনশীল এবং সমালোচনামূলকভাবে চিন্তা করার ক্ষমতা যুক্তি গঠনের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত হয়<ref>Glassner, A., & Schwarz, B. B. (2007). What stands and develops between creative and critical thinking? argumentation?. Thinking Skills and Creativity, 2(1), 10-18. doi:10.1016/j.tsc.2006.10.001</ref>। নতুন তথ্য গ্রহণ, মূল্যায়ন ও তা নিয়ে উদার মনোভাব প্রকাশ—এই পারস্পরিক প্রক্রিয়াকে সমালোচনামূলক ও সৃজনশীল চিন্তার সম্মিলিত কার্যক্রম হিসেবে দেখা যায়। তবে একজন ব্যক্তি যখন নতুন তথ্যের ভিত্তিতে সিদ্ধান্তে পৌঁছায়, তখন সেই সিদ্ধান্তের যৌক্তিকতা নির্ণয় করাই মূল বিষয়। যুক্তি গঠন সমালোচনামূলক চিন্তন দক্ষতাকে বিকাশে সহায়তা করে, এটি স্পষ্ট।
যদিও এটি সত্য যেসমালোচনামূলক চিন্তনযুক্তি গঠনে সরাসরি প্রভাব ফেলে, এই সম্পর্ককে দ্বিমুখী হিসেবেও দেখা যায়। এখানে যুক্তি শেখানো সমালোচনামূলক চিন্তন দক্ষতা তৈরি করে। গোল্ড ও তার সহকর্মীদের একটি গবেষণায় দেখা যায়, যুক্তি বিশ্লেষণ ও গল্প বলার মাধ্যমে সমালোচনামূলক চিন্তন দক্ষতা গড়ে তোলা যায়<ref>Gold J., Holman D., & Thorpe R. (2002). The role of argument analysis and story telling in facilitating critical thinking. Management Learning, 33(3), 371-388. doi:10.1177/1350507602333005</ref>। এই গবেষণাটি প্রমাণ করে, যুক্তি বিশ্লেষণ এবং গল্প বলার প্রক্রিয়া কেবল শিক্ষার্থীদের জন্য নয়, বরং প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রেও উপকারী। এই গবেষণায় অংশগ্রহণকারী ছিলেন অভিজ্ঞ ম্যানেজারগণ। গবেষণায়সমালোচনামূলক চিন্তনের চারটি দক্ষতা চিহ্নিত করা হয়েছে যেগুলো যুক্তি বিশ্লেষণ ও গল্প বলার মাধ্যমে উন্নত হতে পারে: বাগ্মিতার সমালোচনা, ঐতিহ্য, কর্তৃত্ব এবং জ্ঞান। এই চারটি দক্ষতা সাধারণত উচ্চবিদ্যালয়ে শেখানো সমালোচনামূলক চিন্তন দক্ষতার চেয়ে গভীরতর, এবং এগুলোর বিকাশ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যুক্তি গঠনসমালোচনামূলক চিন্তনকে এমনভাবে প্রভাবিত করতে পারে। এটি ব্যক্তিকে নিজের মূল্যবোধ ও বিশ্বাস নিয়ে আরও গভীরভাবে চিন্তা করতে সক্ষম করে এবং নতুন তথ্য পেলে তা পুনর্মূল্যায়ন করার সুযোগ দেয়।
উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য যুক্তি গঠনসমালোচনামূলক চিন্তনএবং সৃজনশীল চিন্তার উভয় ক্ষেত্রেই উপকারী। ডেমির এবং ইসলেইন (২০১৫) এর গবেষণায় দেখা যায়, নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে বিজ্ঞান শিক্ষায় যুক্তিভিত্তিক পদ্ধতি প্রয়োগ করলে উভয় ধরনের চিন্তার দক্ষতা বৃদ্ধি পায়<ref>Demir, B., & İsleyen, T. (2015). The effects of argumentation based science learning approach on creative thinking skills of students. Educational Research Quarterly, 39(1), 49-82.</ref>। শিক্ষার্থীরা যখন যুক্তি গঠনের মাধ্যমেসমালোচনামূলক চিন্তনএবং সৃজনশীল চিন্তার বিকাশ ঘটাতে পারে, তখন এটি অত্যন্ত ইতিবাচক ফল দেয়। যেহেতু আগেই বলা হয়েছে যে, সৃজনশীল এবং সমালোচনামূলক চিন্তন দক্ষতা যুক্তির মাধ্যমে চিন্তা করে উপসংহারে পৌঁছায়, তাই শ্রেণিকক্ষে যুক্তি-নির্ভর পাঠদান উভয় ধরনের দক্ষতাই বৃদ্ধি করে। সারসংক্ষেপে বলা যায়, যুক্তি গঠন এবংসমালোচনামূলক চিন্তনএর মধ্যে একটি দৃঢ় সম্পর্ক রয়েছে, এবংসমালোচনামূলক চিন্তনউপশ্রেণির অনেক দক্ষতার সাথেই এদের সম্পর্ক আছে। এই দুটি ধারণার সুনির্দিষ্ট পাঠদান একে অপরের বিকাশে সহায়ক এবং পরিপূরক বলেই প্রতীয়মান। এই অধ্যায়ের পরবর্তী অংশে এই বিষয়গুলো পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্তির উপযোগিতা এবং কীভাবে তারা যৌক্তিক চিন্তন ও জীবনের জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা বৃদ্ধিতে সহায়ক—তা আলোচনা করা হবে।
= যুক্তি ও সমালোচনামূলক চিন্তার পাঠদান =
[[চিত্র:HUJI_Election_Debate_(8361985738).jpg|থাম্ব|বিতর্ক হচ্ছে যুক্তি ওসমালোচনামূলক চিন্তনের একটি ব্যবহারিক প্রয়োগ]]
== শিক্ষণ কৌশল ==
সমালোচনামূলক চিন্তনশেখানোর কার্যকর পদ্ধতি হলো চিন্তার দক্ষতাগুলোকে একটি পরিস্কার এবং ধারাবাহিক ধাপে বিন্যস্ত করা। এই ধাপগুলো শিক্ষার্থীদের তাদের নিজস্ব চিন্তন পদ্ধতি সম্পর্কে সচেতন করে এবং বাস্তব জীবনে তা প্রয়োগের উপযোগিতা শেখায়। যুক্তিপূর্ণ পদ্ধতিতে। এখানে শিক্ষার্থীরা বিস্তৃত ধারণা থেকে শুরু করে নির্দিষ্ট কাজের দিকে অগ্রসর হয়,সমালোচনামূলক চিন্তনের মাধ্যমে পূর্বে জানা কিছু থেকে নতুন কিছু তৈরি করতে পারে।সমালোচনামূলক চিন্তনের চেতনায়, শিক্ষার্থীর নিজের দক্ষতা সম্পর্কে সচেতনতা তাদের শিক্ষায় একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের শুধু ফলাফলের ওপর মনোযোগ না দিয়ে, বরং লক্ষ্য অর্জনের পেছনের চিন্তন প্রক্রিয়া সম্পর্কে ভাবতে উৎসাহিত করা উচিত। এই ধরণের আত্মমূল্যায়নের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা যুক্তির মতো কাজের জন্য প্রয়োজনীয় চিন্তার দক্ষতা সম্পর্কে আরও সচেতন হয়ে উঠতে পারে।
সমালোচনামূলক চিন্তন এবং যুক্তি প্রদানের শিক্ষা দেওয়ার অর্থ হলো প্রথমেই সমালোচনামূলক চিন্তন দক্ষতা ব্যবহারের প্রতি মনোযোগ দেওয়া। সমালোচনামূলক চিন্তা শেখানোর জন্য একটি পরিকল্পনা তৈরির সময়, একজনকে বিভিন্ন পদ্ধতি মূল্যায়ন ও বিশ্লেষণ করে তথ্যভিত্তিক সিদ্ধান্ত নিতে হয় যে কোনটি তার শ্রেণির জন্য সবচেয়ে উপযোগী হবে। সমালোচনামূলক চিন্তা শেখানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের পন্থা রয়েছে। ''বর্ণনামূলক মডেলগুলো'' বোঝায় কীভাবে "ভালো" চিন্তাভাবনা কাজ করে। এটি বিশেষভাবে মনোযোগ দেয় এমন চিন্তন কৌশলের উপর, যেমন হিউরিস্টিক্স যা তথ্য মূল্যায়ন ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে সাহায্য করে। অন্যদিকে, ''নির্দেশনামূলক মডেলগুলো'' বোঝায় কী হওয়া উচিত একটি ভালো চিন্তার ধরণ। এক অর্থে, এই মডেলগুলো একটি প্রোটোটাইপ বা “নির্দেশনা” দেয় ভালো চিন্তা কী হওয়া উচিত। এই পদ্ধতিটি তুলনামূলকভাবে কম প্রয়োগযোগ্য এবং উচ্চতর স্তরের চিন্তাভাবনার জন্য একটি উচ্চ মানদণ্ড স্থাপন করে। যেকোনো পদ্ধতি নির্বাচন করার আগে, একজন শিক্ষককে অবশ্যই নির্ধারণ করতে হবে তিনি শিক্ষার্থীদের কোন নির্দিষ্ট ধরণের সমালোচনামূলক চিন্তন দক্ষতা শেখাতে চান। এই প্রক্রিয়ায় শিক্ষার্থীদের বয়স, কর্মদক্ষতা এবং জ্ঞানীয় ক্ষমতা বিবেচনা করে এমন একটি কর্মসূচি তৈরি করতে হয় যা বেশিরভাগ, যদি না হয় সব, শিক্ষার্থীদের উপকারে আসে। একজন শিক্ষকের জন্য শেষ যে বিষয়ে বিবেচনা করা উচিত, তা হলো '''সরাসরি''' নাকি '''পরোক্ষ পদ্ধতিতে''' সমালোচনামূলক চিন্তন শেখানো হবে। ''সরাসরি নির্দেশনা'' বোঝায় সমালোচনামূলক চিন্তন দক্ষতার স্পষ্ট শিক্ষা যা নিয়ম এবং ধাপগুলো জোর দিয়ে শেখায়। এটি সবচেয়ে কার্যকরী হয় যখন সমস্যার সমাধান সীমিত বা সহজ হয়। এর বিপরীতে, ''পরোক্ষ নির্দেশনা'' হলো শিক্ষার্থী-কেন্দ্রিক শিক্ষা পদ্ধতি যা শিক্ষার্থীর নিজস্ব চিন্তাধারা গঠনের উপর জোর দেয়। এটি সবচেয়ে কার্যকর যখন সমস্যা অনির্ধারিত, অস্পষ্ট বা ব্যাখ্যার ওপর নির্ভরশীল হয়, যেমন নৈতিক বা নীতিশাস্ত্রভিত্তিক সিদ্ধান্ত <ref name="bruningrh3" />।
পরোক্ষ সমালোচনামূলক চিন্তন শেখানোর একটি উদাহরণ হলো সাহিত্য পর্যালোচনা লেখার প্রক্রিয়া। চ্যান্ডলার ও ডেডম্যান-এর মতে, সাহিত্য পর্যালোচনার জন্য তথ্য সংগ্রহ, বিশ্লেষণ এবং ফলাফল সংক্ষেপে উপস্থাপন করার দক্ষতা অর্জন সমালোচনামূলক চিন্তা চর্চারই একটি অংশ। একটি শিক্ষণ নোটে, তারা একটি বিএসডব্লিউ (ব্যাচেলর অব সোশ্যাল ওয়ার্ক) প্রোগ্রাম বিশ্লেষণ করেন যা স্নাতক শিক্ষার্থীদের মধ্যে সমালোচনামূলক চিন্তাকে উন্নত করতে চেয়েছিল। তারা নির্দিষ্টভাবে বলেন, সাহিত্য পর্যালোচনা তৈরির মতো ব্যবহারিক লেখার অ্যাসাইনমেন্ট শিক্ষার্থীদের পুনর্বিবেচনা এবং প্রতিফলনের সাথে যুক্ত করতে সাহায্য করে এবং তাদের চিন্তার পরিধি বাড়িয়ে বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি বিশ্লেষণের সুযোগ দেয়। তারা দেখতে পান, যখন এই অ্যাসাইনমেন্টকে একটি সমালোচনামূলক পর্যালোচক হিসেবে শিক্ষার্থীদের বিকাশের একটি হাতিয়ার হিসেবে উপস্থাপন করা হয়, তখন শিক্ষার্থীরা এটিকে শুধুমাত্র কোর্স উপাদানের সারাংশ হিসেবে নয় বরং সমালোচনামূলক পাঠ ও লেখন দক্ষতা উন্নয়নের সুযোগ হিসেবেও দেখেছে। আলোচনার সময় প্রশ্নের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের তাদের প্রবন্ধের উৎসের কর্তৃত্ব ও বিশ্বাসযোগ্যতা বিশ্লেষণে সাহায্য করা হয়। শিক্ষার্থীরা তাদের বিষয়ে আরও প্রমাণ সংগ্রহে সচেষ্ট হয়। বিএসডব্লিউ প্রোগ্রামের শেষে শিক্ষার্থীরা সফলভাবে সুচিন্তিত সাহিত্য পর্যালোচনা তৈরি করে <ref>Chandler, S. & Dedman, D.E. (2012). Writing a Literature Review: An Essential Component of Critical Thinking. The Journal of Baccalaureate Social Work, 17. 160-165.</ref>। এই প্রোগ্রামটি সমালোচনামূলক চিন্তন দক্ষতার নিঃশব্দ শিক্ষা প্রদান করে। এখানে শিক্ষকের সাথে সংলাপ এবং সহপাঠী অংশগ্রহণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এখানে নির্দিষ্ট দক্ষতা বা ধাপ স্পষ্টভাবে বলা হয় না, বরং শিক্ষার্থীদের একটি অ্যাসাইনমেন্টের মাধ্যমে সমালোচনামূলক চিন্তা অনুশীলনে নিয়ে যাওয়া হয়। যখন শিক্ষার্থীরা অ্যাসাইনমেন্টে কাজ করে, তখন তাদের যুক্তি, বিশ্লেষণ এবং অনুমানমূলক দক্ষতা ব্যবহার করতে হয় যাতে তারা তাদের বিষয় সংক্রান্ত প্রমাণগুলোকে সংহত করে সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারে। অ্যাসাইনমেন্ট ভিত্তিক সমালোচনামূলক চিন্তা দক্ষতার ব্যবহার শিক্ষার্থীদের মধ্যে পরোক্ষ নির্দেশনার মাধ্যমে এই দক্ষতা গড়ে তোলে।
[[চিত্র:False_dichotomy_public_transport.png|থাম্ব|যুক্তির মানচিত্র একটি যুক্তি উপস্থাপনের দৃশ্যায়ন]]
যুক্তির মানচিত্র হলো যুক্তি উপস্থাপনের একটি ভিজ্যুয়াল উপায়। নিচে যুক্তির মানচিত্র তৈরির সফটওয়্যারগুলোর লিংক দেওয়া হলো:
https://www.rationaleonline.com/
http://www.argunet.org/editor/
http://debategraph.org/planet
https://www.truthmapping.com/map/1021/#s7164
== সমালোচনামূলক চিন্তনের জন্য দক্ষতা ভিত্তিক প্রোগ্রাম ==
এই প্রোগ্রামগুলো বিকল্প শিক্ষণ পদ্ধতির মাধ্যমে সমালোচনামূলক চিন্তন দক্ষতা গঠনে সহায়তা করে, যেমন সমস্যা সমাধান। সাধারণত এগুলো বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের জন্য তৈরি করা হয়, যেমন শেখার অক্ষমতা বা জ্ঞানীয় ঘাটতিসম্পন্ন শিক্ষার্থীরা।
=== CoRT চিন্তন সামগ্রী ===
CoRT (কগনিটিভ রিসার্চ ট্রাস্ট) প্রোগ্রামটি ডি বোনো-র ধারণার ওপর ভিত্তি করে তৈরি। এখানে বলা হয়েছে চিন্তন দক্ষতাকে স্কুলে একটি বিষয় হিসেবে শেখানো উচিত <ref name="alf">Al-Faoury, O.H., & Khwaileh, F. (2014). The Effect of Teaching CoRT Program No. (4) Entitles “Creativity” on the Gifted Learners’ Writing in Ein El-Basha Center for Gifted Students. Theory and Practice in Language Studies, 4(11), 2249-2257. doi:10.4304/tpls.4.11.2249-2257.</ref>। চিন্তন সামগ্রী মূলত চিন্তন দক্ষতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে তৈরি। এই দক্ষতা ভিত্তিক প্রোগ্রাম গেস্টাল্ট পদ্ধতির অনুসরণ করে এবং সমস্যা সমাধানে পারসেপচুয়াল ফ্যাক্টরের উপর গুরুত্ব দেয়। এটি সাধারণত দুই বছরের একটি কোর্স যা বিভিন্ন বয়সের শিশুদের উপযোগী। পাঠগুলো সৃজনশীল চিন্তা, সমস্যা সমাধান ও আন্তঃব্যক্তিক দক্ষতা বিকাশে সহায়তা করে। সামগ্রীগুলো ছয়টি ইউনিটে বিভক্ত এবং পরিকল্পনা, বিশ্লেষণ, তুলনা, নির্বাচন, মূল্যায়ন ও বিকল্প ধারণা তৈরির মতো বিষয় অন্তর্ভুক্ত করে। একটি সাধারণ ইউনিটে লিফলেট থাকে যা একটি নির্দিষ্ট বিষয় কাভার করে, এরপর অনুশীলনের জন্য উদাহরণ দেওয়া হয়। এই লিফলেটগুলো সাধারণত দলীয় কার্যক্রমে বেশি কার্যকর। ইউনিটগুলোর মূল লক্ষ্য হলো চিন্তন দক্ষতা অনুশীলন করানো, তাই পাঠের অধিকাংশ সময় এই বিষয়গুলোর চর্চার জন্য বরাদ্দ থাকে <ref name="bruningrh3" />।
এই স্বতন্ত্র প্রোগ্রামের উপর করা অধিকাংশ গবেষণা সৃজনশীল চিন্তা বিকাশের উপর কেন্দ্রীভূত, তবে এটি এই অধ্যায়ে উল্লিখিত অন্যান্য প্রোগ্রামগুলোর তুলনায় তুলনামূলকভাবে বেশি বিস্তৃত। CoRT প্রোগ্রামটি মেধাবী শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। আল-ফাউরি ও খোয়াইলেহ (২০১৪) CoRT প্রোগ্রামটি মেধাবী শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল লেখার উপর কী ধরনের প্রভাব ফেলে তা মূল্যায়ন করেন। শিক্ষার্থীদের একটি প্রাক-পরীক্ষা দেওয়া হয় যেখানে সৃজনশীল ছোটগল্প লেখার ক্ষেত্রে প্রবাহ, নমনীয়তা ও মৌলিকতা মূল্যায়ন করা হয় <ref name="alf" />। পরীক্ষামূলক গ্রুপের শিক্ষার্থীরা তিন মাসে মোট ২০টি CoRT পাঠ গ্রহণ করে। এর মধ্যে ১০টি ছিল CoRT 1 “Breadth” এবং ১০টি CoRT 4 “Crea tivity” থেকে, অপরদিকে নিয়ন্ত্রণ গ্রুপকে ঐতিহ্যবাহী সৃজনশীল লেখার পাঠ দেওয়া হয়। পরবর্তী পরীক্ষা একই মানদণ্ডে নেওয়া হয় এবং ফলাফল প্রাক-পরীক্ষা ও পরবর্তী পরীক্ষার স্কোরের তুলনা করে বিশ্লেষণ করা হয়। গবেষকেরা দেখতে পান, পরীক্ষামূলক গ্রুপের প্রবাহ, নমনীয়তা ও মৌলিকতা স্কোরে একটি পরিসংখ্যানগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ উন্নতি হয়েছে। এই তিনটি উপাদানেই পরীক্ষামূলক গ্রুপের গড় স্কোর নিয়ন্ত্রণ গ্রুপের তুলনায় বেশি ছিল <ref name="alf" />। এই ফলাফলগুলো নির্দেশ করে CoRT প্রোগ্রামটি রূপক, উপমা ইত্যাদির মতো অলংকারশাস্ত্রীয় কৌশল ব্যবহারের মাধ্যমে, সংলাপের মাধ্যমে চরিত্র বিকাশ এবং জটিল গঠন নিয়ন্ত্রণে শিক্ষার্থীদের সহায়তা করে <ref name="alf" />। লেখার নমনীয়তা ও প্রবাহ যুক্তি প্রদর্শন এবং সমালোচনামূলক চিন্তার চর্চার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। ধারণা উপস্থাপন ও পরিবর্তনের ক্ষমতা বিকাশের মাধ্যমে, শিক্ষার্থীরা এই দক্ষতাগুলো সৃজনশীল লেখালেখি থেকে উচ্চতর জ্ঞানীয় প্রক্রিয়ায়—যেমন সমালোচনামূলক চিন্তা ও যুক্তি প্রদান—পরিবর্তন করতে সক্ষম হয়।
=== ফয়ের্স্টাইন ইনস্ট্রুমেন্টাল এনরিচমেন্ট প্রোগ্রাম (এফআইই) ===
এফআইই একটি বিশেষায়িত প্রোগ্রাম যা মধ্যস্থতাভিত্তিক শিক্ষার অভিজ্ঞতার উপর ভিত্তি করে গড়ে তোলা হয়েছে এবং এর উদ্দেশ্য হলো সমালোচনামূলক চিন্তা ও সমস্যা সমাধান দক্ষতা গড়ে তোলা। মধ্যস্থতা হলো এমন এক শিক্ষণ পদ্ধতি যা শিক্ষার্থী ও মধ্যস্থতাকারীর মধ্যে পারস্পরিক সংলাপের মাধ্যমে ঘটে। ভাইগোৎস্কির “স্ক্যাফোল্ডিং”-এর মতো, এটি শিক্ষার্থী-কেন্দ্রিক এবং চারটি মূল উপাদানের উপর ভিত্তি করে: উদ্দেশ্যমূলকতা, পারস্পরিকতা, পরিপার্শ্বে প্রসারণ এবং অর্থবোধকতা <ref name="kozulin">Kozulin, A. & Presseisen, B.Z. (1995). Mediated Learning Experience and Psychological Tools: Vygotsky’s and Feuerstein’s Perspective in a Study of Student Learning. Educational Psychologist, 30(2), 67-75.</ref>। উদ্দেশ্যমূলকতা বোঝায় মধ্যস্থতা ও সাধারণ পারস্পরিক যোগাযোগের মধ্যে পার্থক্য। এখানে শিক্ষার্থী ও মধ্যস্থতাকারীর মধ্যে একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য থাকে। পারস্পরিকতা বোঝায় শিক্ষার্থী-কেন্দ্রিক মনোভাব। এখানে শিক্ষার্থীর প্রতিক্রিয়াই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, শিক্ষাবিষয়ক ফলাফল নয়। পরিপার্শ্বে প্রসারণ বোঝায় বর্তমান পাঠ ছাড়িয়ে নতুন সংযোগ তৈরি ও প্রয়োগের উৎসাহ প্রদান। অর্থবোধকতা বোঝায় শিক্ষার্থী ও মধ্যস্থতাকারী পরিষ্কারভাবে “কেন” ও “কিসের জন্য” প্রশ্নের উত্তর নির্ধারণ করে। এটি শিক্ষার সময় সংলাপ বাড়ায় <ref name="kozulin" /><ref>Presseisen, B.Z. & Kozulin, A. (1992). Mediated Learning – The Contributions of Vygotsky and Feuerstein in Theory and Practice.</ref>
এই প্রোগ্রামে ব্যবহৃত “ইনস্ট্রুমেন্টগুলো” হলো পেন্সিল-পেপার ভিত্তিক অনুশীলন যা শিক্ষার্থীদের উচ্চতর চিন্তন কৌশল অন্তর্নিহিতভাবে অনুশীলনে সহায়তা করে। এই ইনস্ট্রুমেন্টগুলো বিশ্লেষণাত্মক উপলব্ধি, স্থানগত সংগঠন, শ্রেণীবিন্যাস, তুলনা এবং অন্যান্য অনেক বিষয়ে কাজ করে। বিভিন্ন দেশে এই প্রোগ্রামের প্রয়োগ পদ্ধতি ভিন্ন এবং লক্ষ্যকৃত জনগোষ্ঠীর উপর নির্ভরশীল। একটি সাধারণ প্রোগ্রামে ১৪টি ইউনিট থাকে এবং প্রতি সপ্তাহে কয়েক ঘণ্টার জন্য ৩–৪টি সেশন পরিচালনা করা হয়। এটি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত IE কর্মী ও শিক্ষকরা পরিচালনা করে <ref name="kozulin" />।
=== ফলপ্রসূ চিন্তন কর্মসূচি ===
ফলপ্রসূ চিন্তন কর্মসূচির লক্ষ্য হলো পরিকল্পনা করার দক্ষতা, অনুমান তৈরি ও যাচাই এবং নতুন ধারণা উদ্ভাবন। এটি ১৫টি পাঠে বিভক্ত যা একটি সেমিস্টারে সম্পন্ন করার জন্য তৈরি। প্রোগ্রামের লক্ষ্য গোষ্ঠী হলো উচ্চস্তরের প্রাথমিক শ্রেণির শিক্ষার্থীরা। পাঠগুলো একটি গল্পনির্ভর বইয়ের মাধ্যমে পড়ানো হয়। এখানে শিক্ষার্থীরা একজন গোয়েন্দার ভূমিকায় কাজ করে এবং রহস্য সমাধান করে। একটি নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য শিক্ষার্থীদের একটি কাঠামোবদ্ধ ধাপ অনুসরণ করতে হয় <ref>Schuler, G. (1974). The Effectiveness of the Productive Thinking Program. Paper presented at the Annual Meeting of the American Educational Research Association. Retrieved from: http://www.eric.ed.gov/contentdelivery/servlet/ERICServlet?accno=ED103479.</ref>। পাঠ শেষে অতিরিক্ত সমস্যা দেওয়া হয় যাতে শিক্ষার্থীরা শিখিত দক্ষতা প্রয়োগ করে অনুশীলন করতে পারে <ref name="bruningrh3" />।
=== IDEAL সমস্যা সমাধান পদ্ধতি ===
IDEAL সমস্যা সমাধান পদ্ধতি ৫টি ধাপের একটি কাঠামো যা IDEAL নামের সংক্ষিপ্তরূপে উপস্থাপিত। প্রথমে, (I)dentify: সমস্যা শনাক্ত করা, অর্থাৎ সমস্যাটি কী তা বুঝতে হবে। দ্বিতীয় ধাপ, (D)efine: সমস্যা সংজ্ঞায়িত করা। এখানে পুরো সমস্যাটি পরিষ্কারভাবে বোঝা জরুরি। তৃতীয় ধাপ, (E)xplore: বিকল্পগুলো অন্বেষণ করা, অর্থাৎ সম্ভাব্য সমাধানগুলো বিশ্লেষণ করা। চতুর্থ ধাপ, (A)cting: একটি পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করা। শেষ ধাপ, (L)ooking: ফলাফল পর্যবেক্ষণ করা, অর্থাৎ গৃহীত সমাধানের প্রভাব বিশ্লেষণ করা। IDEAL একটি নমনীয় কাঠামো যা বিভিন্ন বয়স ও দক্ষতার শিক্ষার্থীদের জন্য উপযোগী এবং বিভিন্ন বিষয়ে যেমন রচনা বা পদার্থবিজ্ঞানে প্রয়োগ করা যায় <ref name="bruningrh3" />।
== যুক্তিবাদের নির্দেশনা ==
যুক্তিবাদ নিয়ে গবেষণা শিক্ষা ক্ষেত্রে তুলনামূলকভাবে নতুন একটি ক্ষেত্র হলেও, এটি প্রায় সব ধরনের শিক্ষাব্যবস্থার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং কলেজগুলো এখন শ্রেণিকক্ষে যুক্তিবাদের ব্যবহারে গুরুত্ব দিচ্ছে। কারণ এটি বিশ্বব্যাপী পেশাগত ও শিক্ষামূলক পরিবেশে যোগাযোগ ও বিতর্কের সবচেয়ে কার্যকর উপায় হিসেবে দেখা হচ্ছে।<ref name="cro">Crowell, A., & Kuhn, D. (2014). Developing dialogic argumentation skills: A 3-year intervention study. Journal of Cognition and Development, 15(2), 363-381. doi:10.1080/15248372.2012.725187</ref> ক্রোয়েল এবং কুহন কর্তৃক পরিচালিত একটি দীর্ঘমেয়াদী গবেষণায় দেখা গেছে, শিক্ষার্থীদের যুক্তিবাদী দক্ষতা অর্জনে সবচেয়ে কার্যকর উপায় হলো শ্রেণিকক্ষে ও বাড়ির কাজ হিসেবে ধারাবাহিক ও ঘনঘন যুক্তিবাদের প্রয়োগ।<ref name="cro" /> এই গবেষণার সময় শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন পদ্ধতির মাধ্যমে যুক্তিবাদী দক্ষতা অর্জন করেছে। বন্ধুদের সঙ্গে সহযোগিতা, কম্পিউটার ব্যবহার, আত্মপ্রত্যয়মূলক কার্যকলাপ, ব্যক্তিগত প্রবন্ধ এবং ছোট দলের কাজ—এই সব কৌশল যুক্তিবাদ শেখানোর ক্ষেত্রে মূল্যবান প্রমাণিত হয়েছে, যদিও কোনটি সবচেয়ে কার্যকর তা স্পষ্ট নয়।<ref name="cro" /> গবেষণার তথ্য থেকে দেখা যায়, শিক্ষার্থীরা যেখান থেকে শুরু করেছিল, তাদের আগের যুক্তিবাদী পরীক্ষার ফলাফল যাই হোক না কেন, সকলেই প্রায় সমান মাত্রার যুক্তিবাদী দক্ষতা অর্জন করেছে। এটি প্রমাণ করে, এমনকি যাদের প্রথম দিকে যুক্তিবাদী দক্ষতা নেই বলেই মনে হয়েছে, তারাও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সেই দক্ষতা অর্জন করতে পারে এবং হয়তো তাদের চেয়েও ভালো করতে পারে যারা শুরুতে বেশি নম্বর পেয়েছিল।<ref name="cro" />
=== সংলাপ ও যুক্তিবাদ ===
ক্রোয়েল এবং কুহন (২০১১) এর গবেষণায় দেখা যায়, যৌথ সংলাপভিত্তিক কার্যকলাপ যুক্তিবাদী দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য কার্যকর হস্তক্ষেপ হতে পারে। তারা একটি দীর্ঘমেয়াদী হস্তক্ষেপ চালু করেন। সেখানে একটি মধ্যবিদ্যালয়ের দর্শনের ক্লাসে বিষয়ভিত্তিক চক্র ব্যবহার করে যুক্তিবাদ শেখানো হয়<ref name="crowell">Crowell, A., & Kuhn, D. (2011). Dialogic Argumentation as a Vehicle for Developing Young Adolescents’ Thinking. Psychological Science, 22(4), 545-552. DOI: 10.1177/0956797611402512.</ref>। শিক্ষার্থীরা সপ্তাহে দুই দিন, প্রতি ক্লাসে ৫০ মিনিট করে তিন বছর ধরে ক্লাস করে। এই হস্তক্ষেপ ছিল তিন ধাপে: প্রথমে শিক্ষার্থীদের ছোট ছোট দলে ভাগ করে তাদের যুক্তির একদিকে রাখার মাধ্যমে ধারণা তৈরি করা হয় (“পক্ষে” এবং “বিপক্ষে” দল)। এরপর প্রতিপক্ষের সঙ্গে বৈদ্যুতিক মাধ্যমে যুক্তি তর্কে যুক্ত হয়। সবশেষে পুরো শ্রেণিকক্ষে একত্রে বিতর্কে অংশ নেয়। এই তিনটি ধাপ যথাক্রমে প্রিগেম, গেম এবং এন্ডগেম নামে পরিচিত। হস্তক্ষেপ শেষে শিক্ষার্থীদের একটি প্রবন্ধ লিখতে বলা হয় যার মাধ্যমে তাদের যুক্তিবাদী দক্ষতা মূল্যায়ন করা হয়<ref name="crowell" />। ফলাফল দেখায় যে হস্তক্ষেপপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের মধ্যে দ্বিমুখী দৃষ্টিভঙ্গি ভিত্তিক যুক্তি তৈরির হার বৃদ্ধি পেয়েছে। এই ধরনের যুক্তি প্রদানের জন্য একজনকে নিজের বিপরীত অবস্থান নিতে হয় এবং সেই অনুযায়ী যুক্তি সাজাতে হয়। এই ধরনের যুক্তি উচ্চতর মানসিক প্রক্রিয়া নির্দেশ করে যা বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গিকে বিশ্লেষণ করার সামর্থ্য চায়। এই পরিবর্তনগুলি দ্বিতীয় বছর পর্যন্ত দৃশ্যমান ছিল না এবং তৃতীয় বছরেই তা পরিসংখ্যানগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে প্রমাণিত হয়। এটি নির্দেশ করে যুক্তিবাদী দক্ষতা অন্যান্য নিম্নস্তরের মানসিক দক্ষতার তুলনায় বেশি সময় নিয়ে গড়ে ওঠে<ref name="crowell" />। এই স্বতন্ত্র হস্তক্ষেপ প্রমাণ করে সংলাপভিত্তিক কার্যকলাপের সহযোগিতামূলক দিকটি যুক্তিবাদের জন্য প্রয়োজনীয় মানসিক প্রবণতা গঠনে সহায়তা করে<ref name="crowell" />।
[[চিত্র:Dynamic_roles_during_dialogue.jpg|থাম্ব|যুক্তিবাদ বিকাশে সংলাপভিত্তিক কার্যকলাপ গুরুত্বপূর্ণ। পারিবারিক থেরাপিস্ট ডেভিড ক্যান্টর সংলাপের সময় অংশগ্রহণকারীরা যে চারটি ভিন্ন ভিন্ন ভূমিকা গ্রহণ করেন, তা চিত্রিত করেছেন।]]
আরও গবেষণায় দেখা যায়, সহযোগিতামূলক আলোচনা ও যুক্তিবাদী সংলাপের মাধ্যমে শিক্ষা প্রদান একটি কার্যকর কৌশল<ref name="macagno2" />। যুক্তিবাদের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ধারণা এবং এই ধারণাগুলোর পেছনের মৌলিক চিন্তাধারা অর্জন করতে পারে। যুক্তি তৈরি করতে গেলে শিক্ষার্থীদের গ্রহণযোগ্য সংজ্ঞা বা দাবির মাধ্যমে একটি যুক্তির কাঠামো গড়ে তুলতে হয়। যুক্তিবাদ শিক্ষার্থীদের ভুল ধারণা স্পষ্ট করতে সাহায্য করে এবং তাদের পূর্বজ্ঞান ব্যাখ্যা ও সম্প্রসারণের সুযোগ দেয়। যুক্তিবাদের দুটি প্রধান দিক—সংলাপ এবং কাঠামো—প্রায়শই যুক্তিবাদী দক্ষতার মূল্যায়নে ব্যবহৃত হয়<ref name="macagno2" />। বিশেষ করে শিক্ষার্থী ও বিশেষজ্ঞদের মধ্যকার সংলাপের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের নির্দিষ্ট যুক্তি ও পাল্টা যুক্তি দিতে উৎসাহিত করা যায়। এটি বিশেষজ্ঞের সংলাপগত সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করে<ref name="macagno2" />। এই সহায়ক কাঠামো শিক্ষার্থীকে গভীরভাবে বিশ্লেষণ করতে সহায়তা করে।
যখন শিক্ষার্থী-শিক্ষার্থী এবং শিক্ষার্থী-বিশেষজ্ঞ সংলাপের মধ্যে যুক্তিবাদী আচরণের কনটেন্ট ও কার্যকরী কোডিং বিশ্লেষণ করা হয়, তখন ম্যাকাগ্নো, মেওয়েগ-পাউস ও কুহন (২০১৪) দেখেছেন যে শিক্ষার্থী-বিশেষজ্ঞ সংলাপের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা পরবর্তীতে মূল বিষয়টির গভীরে থাকা বিমূর্ত ধারণা (যেমন নৈতিক নীতিমালা, মূল্যবোধের দ্বন্দ্ব) নিয়ে যুক্তি তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে। এটি শিক্ষার্থী-শিক্ষার্থী সংলাপে দেখা যায়নি<ref name="macagno2" />। বিশেষজ্ঞরা শিক্ষার্থীর যুক্তিকে আক্রমণ করার জন্য আরও নির্দিষ্ট ও জটিল কৌশল ব্যবহার করেন, যেমন সমস্যা সমাধানের বিকল্প উপায় প্রস্তাব করা। এটি পরবর্তী সময়ে শিক্ষার্থীর মেটা-সংলাপে পারফরম্যান্স উন্নত করেছে<ref name="macagno2" />। এই ফলাফল নির্দেশ করে সহযোগিতামূলক কার্যকলাপে যুক্তিবাদের ব্যবহার যুক্তিবাদী দক্ষতা বিকাশে সহায়ক। সমালোচনামূলক চিন্তনের মতো, শিক্ষাদানের পরিবর্তে, ইন্টারঅ্যাকটিভ পরিবেশে অনুশীলনের মাধ্যমে যুক্তিবাদ শেখা আরও কার্যকর হতে পারে।
=== বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদ ===
শ্রেণিকক্ষে যুক্তিবাদের প্রয়োগ নিয়ে অধিকাংশ সাহিত্য বৈজ্ঞানিক বিষয়কেই কেন্দ্র করে লেখা হয়েছে। যুক্তিবাদ বিজ্ঞান শিক্ষায় একটি টুল হিসেবে ব্যবহৃত হয় সমালোচনামূলক চিন্তন উন্নত করতে, ক্লাসে অংশগ্রহণ বাড়াতে এবং বিষয়ের চারপাশে পূর্বজ্ঞান ও বিশ্বাস সক্রিয় করতে<ref name="macagno2" />। বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব ও জ্ঞান ব্যাখ্যা এবং পরিশোধিত করার জন্য বিজ্ঞানীরাও যুক্তিবাদের ওপর নির্ভর করেন<ref name="jonassen2" />। জোনাসেন ও কিম (২০১০) বলেন, বিজ্ঞান শিক্ষকরা প্রায়ই যুক্তিবাদের গুরুত্ব অন্যান্য বিষয়ের চেয়ে বেশি দেন<ref>Jonassen, D.H., & Kim, B. (2010). Arguing to learn ad learning to argue: design justifications and guidelines. Education Technology & Research Development, 58(4), 439-457. DOI 10.1007/s11423-009-9143-8.</ref>। যুক্তিবাদ শিক্ষার্থীদের ভালোভাবে সংগঠিত সমস্যা ও অসংগঠিত সমস্যার সমাধান শিখতে সাহায্য করে। এটি দৈনন্দিন জীবনের সমস্যাগুলোকেও অন্তর্ভুক্ত করে। বিশেষভাবে, অসংগঠিত সমস্যা হচ্ছে এমন সমস্যা যেখানে লক্ষ্য ও সীমাবদ্ধতা স্পষ্ট নয় এবং একাধিক সমাধানের পথ ও মূল্যায়নের মানদণ্ড থাকে<ref name="jonassen2" />।
যুক্তিবাদের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা সমস্যা সমাধানের জন্য সঠিক যুক্তি ও সমালোচনামূলক চিন্তন প্রয়োগ করতে শেখে। উদাহরণস্বরূপ, একটি ভালোভাবে সংগঠিত সমস্যা হতে পারে পদার্থবিজ্ঞানের একটি প্রশ্ন যেখানে নির্দিষ্ট সূত্র ও নিয়ম অনুসরণ করে উত্তর বের করতে হয় অথবা পাঠ্যবইয়ের শেষে থাকা প্রশ্ন যা নির্দিষ্ট তত্ত্বের ওপর ভিত্তি করে সমাধান করতে হয়। অন্যদিকে, একটি অসংগঠিত সমস্যা হতে পারে একজন ব্যক্তির হৃদরোগের কারণ নির্ধারণ করা। এখানে বিভিন্ন জীবনধারা ও শারীরিক কারণ একত্রে কাজ করে এবং হৃদরোগের নানা রূপও বিবেচনা করতে হয়। এই ধরনের সমস্যা সমাধানের জন্য পুষ্টি, মানসিক স্বাস্থ্য ও জিনগত কারণের মতো অন্যান্য ক্ষেত্র থেকেও জ্ঞান প্রয়োগ করতে হয়। যেহেতু এই সমস্যাগুলোর একক কোনো উত্তর নেই, শিক্ষার্থীরা তাদের সমাধানের যুক্তি দিতে পারে<ref name="jonassen2" />। বিজ্ঞান শেখার সময় এমন সমস্যা সমাধানের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা সমালোচনামূলক চিন্তন ব্যবহার করে যুক্তিবাদী দক্ষতা গড়ে তোলে।
একজন ব্যক্তির যুক্তি প্রদানে আগ্রহ এবং দক্ষতা – এই দুইটিই বিজ্ঞানের শিক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে<ref name="bathgate">Bathgate, M., Crowell, A., Schunn, C., Cannady, M., & Dorph, R. (2015). The learning benefits of being willing and able to engage in scientific argumentation. International Journal of Science Education, 37(10), 1590-1612. doi:10.1080/09500693.2015.1045958</ref>। কারণ, বিজ্ঞান নিজেই এক ধরনের যুক্তিবাদী ক্ষেত্র।
[[চিত্র:The_Scientific_Method_as_an_Ongoing_Process.svg|থাম্ব|বিজ্ঞান মূলত যুক্তিবাদভিত্তিক একটি প্রক্রিয়া; বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির মধ্যেই এই যুক্তিক্রম দেখা যায়।]]
যদি শিক্ষার্থীরা অল্প বয়স থেকেই যুক্তিবাদে অংশ নিতে সক্ষম হয়, তবে তাদের বৈজ্ঞানিক বিষয়বস্তুর জ্ঞান অনেক বেশি বৃদ্ধি পেতে পারে। এর প্রধান কারণ হলো যুক্তিবাদী আলাপচারিতা। সেখানে অন্যের সঙ্গে দ্বিমত প্রকাশ করতে পারা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে কিশোর-কিশোরীদের ক্ষেত্রে যাদের সামাজিক আচরণ অত্যন্ত সক্রিয় থাকে (যেমন জুনিয়র থেকে সিনিয়র হাই স্কুল)। এই সামাজিক সক্ষমতা ব্যবহার করাই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এ সময় তারা একে অপরের সঙ্গে দ্বিমত প্রকাশ করতে আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠে। একজন শিক্ষার্থী যখন ক্লাসে অন্য কারও সঙ্গে যুক্তি দেয়, তখন সে তার চিন্তাভাবনা প্রকাশ করতে বাধ্য হয়। এই চিন্তাভাবনার ভাষায় রূপদান শিক্ষার্থীর শেখার জন্য খুবই কার্যকর<ref name="bathgate" />। এটি তাকে তার চিন্তাভাবনা বিশ্লেষণ ও সম্প্রসারণ করতে সাহায্য করে। কারণ তার ধারণাগুলো শ্রেণিতে উপস্থাপন করতে হয়। এছাড়া, এতে করে শিক্ষার্থী নিজের ভুল ধারণাও শনাক্ত করতে পারে। কারণ সহপাঠীরা তার যুক্তির বিরোধিতা করতে পারে<ref name="bathgate" />। এসব উপাদান সমালোচনামূলক চিন্তার অংশ এবং শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য অর্থাৎ ধারণাগত পরিবর্তনে অবদান রাখে। কিশোর-কিশোরীদের সামাজিক আচরণের এই প্রকৃতি বিজ্ঞানে তাদের শিক্ষায় যুক্তিবাদের প্রভাব বিস্তার করতে একটি সুযোগ সৃষ্টি করে<ref name="bathgate" />।
=== যুক্তিবাদ, সমস্যা সমাধান এবং ইতিহাস শিক্ষায় সমালোচনামূলক চিন্তন ===
ইতিহাস শিক্ষা শিক্ষার্থীদের জন্য সমস্যা সমাধান ও সমালোচনামূলক চিন্তনের বিকাশের এক সমৃদ্ধ সুযোগ প্রদান করে এবং মানব অভিজ্ঞতার প্রতি তাদের দৃষ্টিভঙ্গি প্রসারিত করে। ইতিহাস চর্চা একটি জ্ঞানগত ব্যবধান পূরণ করে; বিশেষ করে, এটি বর্তমান দিনের জ্ঞানের সঙ্গে "অসীম, অসংগঠিত এবং অজানা যা কিছু অতীতে ঘটেছে" – তার পার্থক্য দূর করে।<ref name="”S”">Seixas, P., Morton, T., Colyer, J., & Fornazzari, S. (2013). The Big Six: Historical thinking Concepts. Toronto: Nelson Education.</ref> বহুদিন ধরেই ইতিহাস শিক্ষায় সমালোচনামূলক চিন্তন এবং বিশ্লেষণী সমস্যা সমাধানের গুরুত্ব স্বীকৃত। ইতিহাসে দক্ষ হতে হলে শিক্ষার্থীদের বুঝতে ও নির্মাণ করতে হয় যে কিভাবে আমরা অতীত সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করি এবং কিভাবে অতীত ও ইতিহাস নামক জ্ঞানের ভাণ্ডারের মধ্যে সংযোগ তৈরি করি।<ref>Osborne, K. (2013). Forward. Seixas, P., Morton, T., Colyer, J., & Fornazzari, S. The Big Six: Historical thinking Concepts. Toronto: Nelson Education.</ref> দুর্ভাগ্যজনকভাবে, ইতিহাস শিক্ষাকে আজকাল শুধুমাত্র তথ্য মুখস্থ করার বিষয়ে সীমাবদ্ধ করে ফেলা হয়েছে – যেখানে অতিরিক্ত মুখস্থ এবং বহু বিকল্প প্রশ্নভিত্তিক পরীক্ষার উপর নির্ভর করা হচ্ছে। এটি বর্তমান বাস্তবতা থেকে সম্পূর্ণভাবে আলাদা। এই ধরনের পদ্ধতি শিক্ষার্থীদের ইতিহাস বিষয়ে আগ্রহ তৈরি করতে পারে না, এমনকি এটি অতীত ও বর্তমানের সংযোগ বুঝতেও সাহায্য করে না।
অন্যদিকে, বিজ্ঞান ও গণিতের অধ্যয়ন বহু বছর ধরে সমস্যা সমাধানের কার্যকলাপের মাধ্যমে দক্ষতা উন্নয়নের উপর কেন্দ্রীভূত হয়েছে। শিক্ষার্থীরা প্রাথমিক দক্ষতা অর্জন করে এবং ক্রমাগত জটিল সমস্যার একটি অগ্রগতি অনুসরণ করে এই দক্ষতাগুলোকে আরো গভীরভাবে রপ্ত করে। এটিতে তারা বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব এবং গাণিতিক সম্পর্ক সম্পর্কে আরও ভালোভাবে বুঝতে পারে। বিশেষ করে বিজ্ঞান শিক্ষায়, শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞানীদের মতো চিন্তা করতে এবং বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি ব্যবহার করে সমস্যার সমাধান করতে শেখানো হয়। যদি এই পদ্ধতি বিজ্ঞান ও গণিত শিক্ষার ক্ষেত্রে কার্যকর হয়, তবে ইতিহাস শিক্ষায় এটি ব্যবহার করা যাবে না কেন? <ref name="”S”2" />। অতএব, ঐতিহাসিক চিন্তা বিকাশের জন্য শিক্ষকদের পেশাদার ইতিহাসবিদদের দ্বারা ব্যবহৃত কৌশল ও সমস্যা সমাধানের পন্থাগুলো শেখানো প্রয়োজন। তবে, বিজ্ঞান ও গণিতের মতো নয়, ইতিহাসে আমরা যেসব সমস্যার সমাধান করি, সেগুলো প্রায়ই অস্পষ্ট এবং অনেক সময় সুস্পষ্টভাবে অমীমাংসিত থাকে। এটি শিক্ষার্থীদের জন্য এই দক্ষতাগুলি শেখা ও প্রয়োগ করা আরও চ্যালেঞ্জিং করে তোলে। পরবর্তী অংশে এই চ্যালেঞ্জগুলো আলোচনা করা হবে এবং ২০১৩ সালের ''দ্য বিগ সিক্স হিস্ট্রিকাল থিংকিং কনসেপ্ট'' (ছয়টি বড় ঐতিহাসিক চিন্তাভাবনার ধারণা)-র মাধ্যমে ঐতিহাসিক চিন্তা শেখানোর পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করা হবে।
==== ঐতিহাসিক চিন্তা - দ্য বিগ সিক্স ====
বহু বছরের গবেষণা ও সরাসরি শ্রেণিকক্ষ অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে সেক্সাস ও মর্টন (২০১৩) ঐতিহাসিক চিন্তা দক্ষতা বিকাশের জন্য ছয়টি অপরিহার্য যোগ্যতার একটি সেট তৈরি করেন। উপরোক্ত বিজ্ঞান ও গণিত শিক্ষার মতোই, ইতিহাস শিক্ষায় ‘বিগ সিক্স’ পদ্ধতি শিক্ষার্থীদের সহজ কাজ থেকে জটিল কাজের দিকে অগ্রসর হওয়ার সুযোগ দেয়। তদুপরি, এই পদ্ধতির উদ্দেশ্য হলো শিক্ষার্থীদের “সাধারণ উপলব্ধ ধারণার উপর নির্ভরতা থেকে সরে এসে ইতিহাস বোঝার জন্য সংস্কৃতির সবচেয়ে শক্তিশালী বুদ্ধিবৃত্তিক সরঞ্জাম ব্যবহার করা” শেখানো। (পৃষ্ঠা ১) <ref name="”S”2" /> এছাড়াও, বিগ সিক্স ধারণাগুলো শিক্ষার্থীদের দেখায় যে অতীতের ইতিহাস নির্মাণ করতে গেলে কী ধরণের জটিলতার মুখোমুখি হতে হয়। এই ছয়টি দক্ষতার মধ্যে রয়েছে: ঐতিহাসিক গুরুত্ব, প্রমাণ, ধারাবাহিকতা ও পরিবর্তন। কারণ ও পরিণতি, ঐতিহাসিক দৃষ্টিভঙ্গি, এবং নৈতিক মাত্রা।
'''ঐতিহাসিক গুরুত্ব'''
ইতিহাস সম্পর্কে সমালোচনামূলক দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে তুলতে হলে শিক্ষার্থীদের বুঝতে ও সংজ্ঞায়িত করতে হবে কী কারণে একটি ব্যক্তি, ঘটনা, বা সামাজিক পরিবর্তন ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ এবং কেন তাদের এ বিষয়ে সময় ব্যয় করা উচিত। ইতিহাস শিক্ষায় আচরণবাদী পদ্ধতি। সেখানে পাঠ্যপুস্তকই প্রধান তথ্য উৎস, শিক্ষার্থীদের ইতিহাস শেখায় প্যাসিভ বা নিষ্ক্রিয় হয়ে উঠতে। পাঠ্যপুস্তকই যেন নির্ধারণ করে দেয় কী জানতে হবে। উপরন্তু, শুধুমাত্র পাঠ্যপুস্তকের উপর নির্ভর করে জাতীয় ইতিহাস শেখানো “মাস্টার ন্যারেটিভ” তৈরি করতে পারে। এটি শিক্ষার্থীদের দেশের অতীতের বিতর্কিত দিকগুলো জানার সুযোগ সীমিত করে দেয়।<ref name="CA">Carretero, M., & van Alphen, F. (2014). Do Master Narratives Change Among High School Students? A Characterization of How National History Is Represented. Cognition and Instruction, 32(3), 290–312. http://doi.org/10.1080/07370008.2014.919298</ref> পাঠ্যপুস্তক থেকে মনোযোগ সরিয়ে দিলে, শিক্ষার্থীরা ঐতিহাসিকদের মতো করে অতীত বিশ্লেষণের ধাপ অনুসরণ করে সমালোচনামূলক চিন্তা দক্ষতা আরও ভালোভাবে উন্নয়ন করতে পারে এবং “ঐতিহাসিক গুরুত্ব সম্পর্কে যুক্তিসংগত সিদ্ধান্ত” তৈরি করতে পারে। <ref name="”S”2" /> তবে, এমনকি যদি শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক উৎস উপস্থাপন করাও হয়, তবু যদি তাদের শেখানো না হয় কেন এই নির্দিষ্ট প্রমাণ বা বিষয়গুলো নির্বাচন করা হয়েছে এবং কেন এগুলো গুরুত্বপূর্ণ, তাহলে তারা ইতিহাস গঠনে মানবিক প্রেরণার প্রভাব অনুধাবন করতে ব্যর্থ হতে পারে। বিজ্ঞানী যেভাবে “পজিটিভিস্টিক যুক্তিবাদের সংজ্ঞা” ব্যবহার করেন, ঐতিহাসিক চিন্তা তার চেয়ে ভিন্ন; এটি শিক্ষার্থীদেরকে অনুধাবন করাতে হয় তাদের নিজের প্রেরণা, শিক্ষকের বিষয় নির্বাচনের প্রেরণা, এবং অতীতের মানুষের প্রেরণা সম্পর্কে। <ref name="”Freedman2015”">Freedman, E. B. (2015). “What Happened Needs to Be Told”: Fostering Critical Historical Reasoning in the Classroom. Cognition and Instruction, 33(4), 357–398. http://doi.org/10.1080/07370008.2015.1101465</ref>
সেক্সাস ও মর্টন (২০১৩) ঐতিহাসিক গুরুত্ব নির্ধারণের দুটি উপাদান চিহ্নিত করেছেন: “আজকের জীবনে বিদ্যমান বড় ও প্রাসঙ্গিক উদ্বেগ যেমন পরিবেশগত স্থায়িত্ব, ন্যায়বিচার, ক্ষমতা, ও কল্যাণ” এবং “বিশেষ কিছু ঘটনা, বস্তু, ও ব্যক্তিত্ব যাদের ঐতিহাসিক গুরুত্ব নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে” (পৃষ্ঠা ১৬) <ref name="”S”2" /> এই দুটি উপাদানের সংযোগস্থলে ঐতিহাসিক গুরুত্ব নির্ধারিত হয়। এখানে ফ্রিডম্যান (২০১৫)-এর সমালোচনামূলক ঐতিহাসিক যুক্তির সংজ্ঞাটি যুক্ত করা প্রাসঙ্গিক। এটি আমাদের বোঝায় যে ইতিহাস অধ্যয়ন নিরপেক্ষ নয়। ইতিহাসবিদরা “তাদের অনুসন্ধান নির্ধারণ করেন তারা যে প্রশ্ন করেন ও যে তত্ত্ব ব্যবহার করেন তার মাধ্যমে” এবং তাই ইতিহাস শিক্ষার্থীদের “ঐতিহাসিক বর্ণনার সততা ও এর জোর ও উপেক্ষার ধরণ” বিশ্লেষণ করতে হয় (পৃষ্ঠা ৩৬০)। <ref name="”Freedman2015”" /> সমালোচনামূলক ঐতিহাসিক যুক্তি শিক্ষার্থীদের শেখায় তারা যে ফ্রেমটি গ্রহণ করেছে তা সম্পর্কে সচেতন হওয়া এবং এই ফ্রেমের সুবিধা ও সীমাবদ্ধতা বুঝতে পারা (পৃষ্ঠা ৩৬০)। <ref name="”Freedman2015”" /> অতএব, ইতিহাসবিদ ও ইতিহাস শিক্ষার্থীদের উভয়কেই বুঝতে হবে যে ঐতিহাসিক গুরুত্ব আরোপিত হয়, এটি অতীতের কোনো অন্তর্নিহিত গুণ নয়, এবং এটি পরিবর্তনশীল।
'''প্রমাণ'''
সেক্সাস ও মর্টন (২০১৩) বর্ণিত দ্বিতীয় দক্ষতা হলো অতীত সম্পর্কিত প্রশ্নের উত্তরে প্রমাণ ব্যবহার করা। ওয়াইনবার্গ (১৯৯১) একটি গবেষণায় উৎস নথিপত্র বিশ্লেষণে ব্যবহৃত জ্ঞানীয় প্রক্রিয়াগুলো নির্ণয় করেন এবং তিনটি কৌশলের কথা বলেন: প্রতিপাদন (মিলিয়ে দেখা), সোর্সিং (লেখক নির্ধারণ), এবং প্রাসঙ্গিকীকরণ বা প্রেক্ষাপটে স্থাপন। প্রতিপাদন মানে এক উৎসের সঙ্গে অন্যটির তুলনা করা, সোর্সিং মানে উপাত্ত পড়ার আগে লেখককে চিহ্নিত করা, এবং প্রাসঙ্গিকীকরণ মানে প্রমাণকে নির্দিষ্ট সময় ও স্থানে স্থাপন করা (পৃষ্ঠা ৭৭)। <ref name="Wa">Wineburg, S. S. (1991). Historical problem solving: A study of the cognitive processes used in the evaluation of documentary and pictorial evidence. Journal of Educational Psychology, 83(1), 73–87. http://doi.org/10.1037/0022-0663.83.1.73</ref>
এই গবেষণায় ইতিহাসবিদ ও উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে পার্থক্য তুলনা করা হয়। ওয়াইনবার্গ (১৯৯১) দেখান, ইতিহাসবিদরা সফল হয় কারণ তারা কোনো নির্দিষ্ট ঘটনা সম্পর্কে “পরিপ্রেক্ষিতভিত্তিক স্কিমা” তৈরি করে, বিজ্ঞান ও গণিতে ব্যবহৃত সাধারণ স্কিমা প্রসেসিংয়ের বিপরীতে (পৃষ্ঠা ৮৩)। <ref name="Wa" /> এছাড়াও, ইতিহাসবিদরা নথির উৎসের প্রতি শিক্ষার্থীদের চেয়ে বেশি সচেতনতা দেখিয়েছেন। এটি বোঝায় যে শিক্ষার্থীরা লেখকের পরিচয় ও উৎসের নির্ভরযোগ্যতার সম্পর্কটি বুঝতে পারেনি। ওয়াইনবার্গ বলেন, “কোনো বিবরণই মুক্তভাবে বিচ্ছিন্ন নয়, প্রতিটি বিবরণ কোনো সাক্ষীর সঙ্গে যুক্ত, এবং যদি সাক্ষী সন্দেহজনক হয়, তবে তাদের বিবরণও সন্দেহজনক” (পৃষ্ঠা ৮৪)। <ref name="Wa" /> এই গবেষণা দেখায় ইতিহাস নির্মাণে ইতিহাসবিদদের ব্যবহার করা জ্ঞানীয় কৌশল শেখানোর মাধ্যমে ঐতিহাসিক বোঝাপড়া উন্নত করা যেতে পারে।
অতীত সম্পর্কে একাধিক বর্ণনা থাকতে পারে। কারণ প্রত্যেকে তার নিজস্ব মূল্যবোধ ও অভিজ্ঞতা অনুযায়ী ইতিহাস ব্যাখ্যা করে। এটি স্বীকৃতি দিলে শিক্ষার্থীরা সাধারণ ইতিহাসের উপস্থাপনায় সন্তুষ্ট না থেকে একটি সমালোচনামূলক দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করতে পারে। ফ্রিডম্যান (২০১৫)-এর ভিয়েতনাম যুদ্ধ সংক্রান্ত গবেষণায় দেখা যায় যে প্রাথমিক উৎস বিশ্লেষণের মাধ্যমে এবং পাঠ্যপুস্তকের সাথে তুলনা করে শিক্ষার্থীরা বুঝতে পারে তারা কিভাবে ইতিহাস “ফ্রেম” করে। <ref name="”Freedman”">Freedman, E. B. (2015). “What Happened Needs to Be Told”: Fostering Critical Historical Reasoning in the Classroom. Cognition and Instruction, 33(4), 357–398. http://doi.org/10.1080/07370008.2015.1101465</ref> শিক্ষার্থীদের যদি প্রমাণভিত্তিক ব্যাখ্যা তৈরি করার স্বাধীনতা দেওয়া হয়, তাহলে ইতিহাসকে একটি স্থির জ্ঞানভান্ডার হিসেবে না দেখে তারা এটি বিশ্লেষণমূলকভাবে চিন্তা করতে শিখবে।
'''ধারাবাহিকতা ও পরিবর্তন'''
ধারাবাহিকতা ও পরিবর্তনের ধারণা গড়ে তুলতে হলে শিক্ষার্থীদের বুঝতে হবে ইতিহাসের ধারাবাহিকতায় এই দুটি উপাদান একসঙ্গে থাকে; কিছু জিনিস পরিবর্তিত হয়, আবার কিছু একই রকম থাকে। শিক্ষার্থীরা যদি নিজেদের জীবনে এই দুটি উপাদান চিহ্নিত করতে পারে, তাহলে তারা ইতিহাস অধ্যয়নে তা প্রয়োগ করতে পারবে। <ref name="S">Seixas, P., Morton, T., Colyer, J., & Fornazzari, S. (2013). The Big Six: Historical thinking Concepts. Toronto: Nelson Education.</ref> শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করা উচিত ইতিহাসের পরিবর্তনের গতি ও গভীরতা ব্যাখ্যা করতে এবং এটি অগ্রগতি না পতনের নিদর্শন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে।<ref name="S" /> ইতিহাসের পরিবর্তন ইতিবাচক না নেতিবাচক তা মূল্যায়ন সম্পূর্ণরূপে দর্শকের দৃষ্টিভঙ্গির উপর নির্ভর করে।
একটি উদাহরণ হলো সংস্কৃতি ও জাতীয় পরিচয়ের ধারাবাহিকতা। ক্যারেটেরো ও ভ্যান আলফেন (২০১৪) আর্জেন্টিনার উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে “মাস্টার ন্যারেটিভ” বিশ্লেষণ করে দেখান কিভাবে পরিচয় ইতিহাস শিক্ষায় সহায়ক হলেও অতীত ও বর্তমান গুলিয়ে ফেলতে পারে, যেমন বিজয়ী যুদ্ধ বা বিপ্লবের ক্ষেত্রে “আমরা” শব্দ ব্যবহার করা যা একটি জাতি গঠনে ভূমিকা রেখেছে (পৃষ্ঠা ৩০৮-৩০৯)। <ref name="CA" /> তাই শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সময় পর্ব চিহ্নিত করতে শেখানো জরুরি। তবে, '''ইতিহাসের পর্যায় বিভাজন''' নিজেই একটি ব্যাখ্যামূলক কাজ এবং এটি ইতিহাসবিদদের করা প্রশ্নের উপর নির্ভর করে। <ref name="S" />
শিক্ষায় প্রযুক্তির ব্যবহার, যেমন ইন্টারঅ্যাকটিভ টাইমলাইন, ইতিহাসভিত্তিক গেমস এবং অনলাইন আলোচনা, শিক্ষার্থীদের অতীত ও বর্তমানের মধ্যে সংযোগ গড়ে তুলতে সাহায্য করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, কানাডার মেডিকেয়ার বিষয়ে সভ্যতার জাদুঘর একটি ইন্টারঅ্যাকটিভ শিক্ষণ সরঞ্জাম সরবরাহ করে (http://www.museedelhistoire.ca/cmc/exhibitions/hist/medicare/medic01e.shtml)। ইন্টারঅ্যাকটিভ টাইমলাইন শিক্ষার্থীদের ধারাবাহিকতা, পরিবর্তন। কারণ ও পরিণতির মধ্যে সংযোগ দেখতে সহায়তা করে। এছাড়াও, শক্তিশালী অনুসন্ধানমূলক প্রশ্নের মাধ্যমে টাইমলাইনের নির্দেশনা দিলে শিক্ষার্থীদের বোঝাপড়া আরও গভীর হতে পারে এবং ঐতিহাসিক চিন্তা দক্ষতা বিকাশে সহায়তা করে।
উদাহরণস্বরূপ, ইউরোপীয় রেনেসাঁ সম্পর্কে একটি অনুসন্ধান নিম্নোক্ত প্রশ্ন দ্বারা পরিচালিত হতে পারে: “ইউরোপের সকলেই কি রেনেসাঁকে একইভাবে অভিজ্ঞতা করেছে?” এই ধরনের প্রশ্ন খোলা-প্রান্তিক হয় যাতে শিক্ষার্থীদের অনুসন্ধানকে নির্দিষ্ট পথে সীমাবদ্ধ না করে, বরং রেনেসাঁর পরিবর্তন এবং ইউরোপীয় সমাজের ধারাবাহিকতার মধ্যে একটি সম্পর্ক নির্দেশ করে। ঐতিহাসিক চিন্তাকে সহায়তা করার জন্য শিক্ষাগত প্রযুক্তির অন্যান্য উদাহরণগুলোর মধ্যে “''ওয়ার্ল্ড হিস্ট্রি ফর অল অফ আস''” (''আমাদের সকলের জন্য বিশ্ব ইতিহাস'' ''-'' [http://worldhistoryforusall.sdsu.edu/ http://worldhistoryforusall.এসডিsu.edu/]) প্রকল্প অন্তর্ভুক্ত। এই ওয়েবসাইটটি বিশ্ব ইতিহাসের ইউনিটগুলোকে বৃহৎ পরিসর এবং স্থানীয় পর্যায়ে ভাগ করেছে এবং তা ঐতিহাসিক সময়কাল অনুসারে সংগঠিত। পাঠ পরিকল্পনা এবং সংস্থানগুলো শিক্ষার্থীদের স্থানীয় ইস্যু ও বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটের মধ্যে সংযোগ স্থাপনে সহায়তা করতে পারে। এটি বিশ্ব ইতিহাসকে প্রভাবিত করে। অবশেষে, ব্ল্যাকেনশিপ (২০০৯) এর একটি কেস স্টাডি প্রস্তাব করে অনলাইন আলোচনা গোষ্ঠীগুলি সমালোচনামূলক চিন্তন বিকাশে উপকারী। কারণ এগুলোর মাধ্যমে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের চিন্তার প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করতে পারেন এবং ফলস্বরূপ, গঠনমূলক মূল্যায়ন ও প্রয়োজনীয় শিক্ষণ হস্তক্ষেপের ধরন নির্ধারণে সহায়তা পান। ব্ল্যাকেনশিপ (২০০৯) আরও গবেষণার উল্লেখ করেন যা অনলাইন আলোচনার পক্ষে যুক্তি দেয়। কারণ এতে শিক্ষার্থীরা আলোচনার আগে তাদের চিন্তা সংগঠিত করতে পারে; এতে তাদের পূর্ববর্তী জ্ঞান কাজে লাগাতে এবং নিজের ধারণা বিবেচনা করার জন্য বেশি সময় পাওয়া যায়। <ref>Blackenship, W. (2009). Making connections: Using online discussion forums to engage students in historical inquiry. Social Education, 73(3), 127-130.</ref>
'''কারণ ও পরিণতি'''
ঐতিহাসিক চিন্তার দক্ষতা হিসেবে কারণ ও পরিণতির ধারণা শিক্ষার্থীদেরকে ঐতিহাসিক ঘটনাবলীর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কারণ এবং তার তাৎক্ষণিক ও দীর্ঘমেয়াদি পরিণতি চিহ্নিত করতে পারার দক্ষতা অর্জনে সহায়তা করে। ঐতিহাসিক পরিবর্তনের কারণগুলি বোঝার জন্য ব্যক্তির কর্মকাণ্ড ও সেই সময়ের প্রচলিত পরিস্থিতি উভয়কেই স্বীকৃতি দেওয়া প্রয়োজন। ঐতিহাসিক চিন্তা শিক্ষার্থীদেরকে সরল, তাৎক্ষণিক কারণের বাইরে গিয়ে ইতিহাসকে “পারস্পরিকভাবে সংযুক্ত কারণ ও পরিণতির একটি জাল” হিসেবে ভাবতে শেখায়। এটির প্রতিটির উপর বিভিন্ন প্রভাব রয়েছে (পৃষ্ঠা ১১০)। <ref name="S2" /> অতীতকে আরও ভালভাবে বোঝার পাশাপাশি, এই দক্ষতাগুলি শিক্ষার্থীদের বর্তমানের দ্বন্দ্ব ও সমস্যাগুলো বোঝতেও সহায়তা করতে পারে। শ্রেইনার (২০১৪) নবীন/বিশেষজ্ঞ বিন্যাস ব্যবহার করে যাচাই করেন কীভাবে মানুষ ইতিহাসের জ্ঞান ব্যবহার করে বর্তমান ঘটনার বিষয়ে যুক্তিসঙ্গত সিদ্ধান্তে পৌঁছায়। উপরে উল্লিখিত ওয়াইনবার্গ (১৯৯১) গবেষণার অনুরূপভাবে, শ্রেইনার (২০১৪) দেখতে পান যে বিশেষজ্ঞরা প্রেক্ষাপট স্থাপন এবং উৎস বিশ্লেষণে বেশি দক্ষ। এটি তাদেরকে দলিলের নির্ভরযোগ্যতা ও ব্যবহারিকতা যাচাই করে যুক্তিসঙ্গত রায়ে পৌঁছাতে সাহায্য করে। এছাড়াও, গবেষণায় দেখা যায় যে শিক্ষার্থীরা অর্থ নির্মাণে বর্ণনা ব্যবহার করে, তবে তারা সাধারণত “স্কিমেটিক ন্যারেটিভ টেমপ্লেট” তৈরি করে। এটি অতীত সম্পর্কে সাধারণ বিবৃতি দেয় কিন্তু নির্দিষ্ট তথ্য ও ঘটনা থাকে না। <ref>Shreiner, T. L. (2014). Using Historical Knowledge to Reason About Contemporary Political Issues: An Expert–Novice Study. Cognition and Instruction, 32(4), 313–352. http://doi.org/10.1080/07370008.2014.948680</ref> সেইক্সাস ও মর্টন (২০১৩) অতিসরলেখ টাইমলাইন ব্যবহারে সাবধান করে দেন কারণ এতে ইতিহাসকে বিচ্ছিন্ন ঘটনাবলীর একটি তালিকা মনে হতে পারে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ঐতিহাসিক বর্ণনা যা সময়কালভিত্তিক এবং কারণ-পরিণতি সম্পর্কযুক্ত, সেইসাথে সময়ের সাথে পরিবর্তন অন্তর্ভুক্ত করে, তা বর্তমান ইস্যু বোঝার জন্য সহায়ক।<ref name="S2" /> সুতরাং, শিক্ষকদের উচিত শিক্ষার্থীদের মধ্যে এই দক্ষতাগুলির বিকাশ ঘটানো। ঐতিহাসিক পরিবর্তনের মতোই, ইতিহাসের কিছু কর্মকাণ্ডের পরিণতি বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি অনুযায়ী ইতিবাচক বা নেতিবাচক হিসেবে দেখা যেতে পারে। এটি নিচে আরও বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হবে।
'''ঐতিহাসিক দৃষ্টিভঙ্গি ও নৈতিকতা'''
সেইক্সাস ও মর্টনের প্রস্তাবিত চূড়ান্ত দুটি ঐতিহাসিক চিন্তার দক্ষতা হলো ঐতিহাসিক দৃষ্টিভঙ্গি ও নৈতিকতা। ঐতিহাসিক দৃষ্টিভঙ্গি বলতে ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট বিশ্লেষণ বোঝায়। এটি একটি ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্বকে কোনো ঘটনা বা কর্মকাণ্ড নির্দিষ্টভাবে দেখাতে বা কাজ করতে প্রভাবিত করে। এতে অন্তর্ভুক্ত হতে পারে ধর্মীয় বিশ্বাস, সামাজিক অবস্থান, ভৌগোলিক অবস্থান, সময়কাল, প্রচলিত অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং সামাজিক/সাংস্কৃতিক অবস্থা। এখানে প্রমাণ ব্যাখ্যার প্রয়োজন হয় কারণ প্রায়শই আমাদের কাছে এমন তথ্য থাকে না যা সরাসরি কোনো ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্বের মনোভাব বা কার্যকারণের কারণ ব্যাখ্যা করে। প্রাথমিক উৎস দলিল, যেমন চিঠি বা ডায়েরি, কিছুটা ধারণা দিতে পারে, কিন্তু তবুও ঐতিহাসিকদেরকে তথ্যগুলো ব্যাখ্যা করে তা বৃহত্তর ঐতিহাসিক বর্ণনা বা কোনো ব্যক্তির জীবনীচিত্রে সংযুক্ত করতে হয়। পাশাপাশি, “কঠোর পরিসংখ্যান, যেমন জন্ম ও মৃত্যুহার, বিবাহের গড় বয়স, সাক্ষরতার হার, এবং পরিবারের আকার... এগুলো আমাদের মানুষের অভিজ্ঞতা, চিন্তা ও অনুভূতি সম্পর্কে ধারণা করতে সহায়তা করে” (পৃষ্ঠা ১৪৩)। <ref name="S2" /> অবশ্যই, অতীত সম্পর্কে আমাদের অনুমান করার সীমাবদ্ধতা রয়েছে; তবে সেইক্সাস ও মর্টন (২০১৩) প্রস্তাব করেন, অতীত সম্পর্কে আমরা কী জানি না, তা স্বীকার করাও “সুস্থ ঐতিহাসিক চিন্তার” অংশ (পৃষ্ঠা ১৪৩)। <ref name="S2" /> শিক্ষার্থীরা অতীত ও বর্তমান জীবনধারা ও দৃষ্টিভঙ্গির পার্থক্য পর্যবেক্ষণ করে, যেসব মানবিক বৈশিষ্ট্য সময় অতিক্রম করে বিদ্যমান থাকে (যেমন সন্তানের প্রতি ভালোবাসা), তা চিহ্নিত করে এবং '''বর্তমানতাবাদ''' ও '''কালগত ভুল''' এড়িয়ে ঐতিহাসিক দৃষ্টিভঙ্গি অনুশীলন করতে পারে। <ref name="S2" /> ঐতিহাসিক দৃষ্টিভঙ্গির গভীরতর বোঝাপড়া শিক্ষার্থীদের সহায়তা করবে যখন তারা বিরোধপূর্ণ ঐতিহাসিক ব্যাখ্যার মুখোমুখি হবে। কারণ তারা দেখতে পারবে ঐতিহাসিক ব্যক্তিরা কোন প্রেক্ষাপট থেকে এসেছে এবং সে অনুযায়ী তাদের কর্মকাণ্ড বুঝতে পারবে। ঐতিহাসিক দৃষ্টিভঙ্গি ও নৈতিকতা একে অপরের সাথে সম্পর্কযুক্ত। সেইক্সাস ও মর্টন (২০১৩) যুক্তি দেন, “ঐতিহাসিক চিন্তার নৈতিক মাত্রা ইতিহাস অধ্যয়নে অর্থ প্রদান করে” (পৃষ্ঠা ১৭০)। <ref name="S2" /> কোনো ব্যক্তির কর্মকাণ্ডের নৈতিক কারণ বোঝার জন্য আমাদের ঐতিহাসিক, ভৌগোলিক ও সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপটের প্রভাব বুঝতে হয়। পাশাপাশি, অতীতের নৈতিক পরিণতি বোঝার জন্য আমাদের নৈতিক মূল্যায়ন করতে হয়। এটি “সহানুভূতিশীল বোঝাপড়া [চাই]; তাদের ও আমাদের নৈতিক জগতের পার্থক্য বোঝা” (সিক্সাস এবং পেক, ২০০৪, পৃষ্ঠা ১১৩)। <ref>Seixas, P., & Peck, C. (2004). Teaching Historical Thinking. Challenges and Prospects for Canadian Social Studies, 109–117.</ref> ঐতিহাসিক চিন্তার অভিজ্ঞতা কম থাকলে শিক্ষার্থীরা বর্তমান সমাজের নৈতিক মানদণ্ড থেকে অতীতকে আলাদা করে ভাবতে পারে না। এছাড়াও, শিক্ষার্থীরা প্রায়শই অন্যান্য সংস্কৃতিকে নিজেদের সংস্কৃতির তুলনায় বেশি সমালোচনামূলক দৃষ্টিতে দেখে; অনেক সময় নিজেদের জাতির কর্মকাণ্ডকে সমর্থন বা যৌক্তিকতা দেয়। <ref name="L">Lopez, C., Carretero, M., & Rodriguez-Moneo, M. (2014). Telling a national narrative that is not your own. Does it enable critical historical consumption? Culture & Psychology , 20 (4 ), 547–571. http://doi.org/10.1177/1354067X14554156</ref> তাই, লোপেজ, কারেতেরো এবং রদ্রিগেজ-মোনেও (২০১৪) প্রস্তাব করেন, শিক্ষার্থীদের নিজেদের দেশের বাইরে অন্য জাতির জাতীয় বর্ণনা বিশ্লেষণে ব্যবহার করলে সমালোচনামূলক ঐতিহাসিক চিন্তা আরও কার্যকরভাবে বিকাশ লাভ করে। যখন শিক্ষার্থীরা অতীতের নৈতিক সিদ্ধান্ত বিশ্লেষণে দক্ষ হয়, তখন তারা এই দক্ষতা বর্তমান সময়ের নৈতিক প্রশ্ন বিশ্লেষণে প্রয়োগ করতে পারে। ভূমিকাভিত্তিক অভিনয় ঐতিহাসিক দৃষ্টিভঙ্গি শেখানোর একটি কার্যকর শিক্ষণ কৌশল। ঐতিহ্যগত, সামনাসামনি শ্রেণিকক্ষে নাট্যভিত্তিক ভূমিকা পালন, বিতর্ক এবং মক ট্রায়াল পরিচালনা করা যায় যেখানে শিক্ষার্থীরা ইতিহাসের কোনো ব্যক্তি বা সামাজিক গোষ্ঠীর ভূমিকায় অভিনয় করতে পারে। এছাড়াও, শিক্ষামূলক গেম এবং ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এই কৌশলের সাথে প্রযুক্তির একত্রীকরণ করা যায়। হুইটওয়ার্থ ও বারসন (২০০৩) দেখতে পান যে ১৯৯০-২০০০ এর দশকে সামাজিক বিজ্ঞানের শ্রেণিকক্ষে প্রযুক্তি মূলত ইন্টারনেটকে শ্রেণিকক্ষে ব্যবহৃত উপকরণের ডিজিটাল সংস্করণ হিসেবে ব্যবহারে সীমাবদ্ধ ছিল। তারা প্রস্তাব করেন, প্রযুক্তির বিকল্প ব্যবহার—যেমন অনুসন্ধানভিত্তিক ওয়েবকোয়েস্ট, সিমুলেশন, এবং সহযোগিতামূলক কর্মপরিবেশ—শিক্ষার্থীদের মধ্যে পারস্পরিক যোগাযোগ ও সমালোচনামূলক চিন্তন দক্ষতা বাড়ায়। <ref>Whitworth, S. A., & Berson, M. J. (2003). Computer technology in the social studies: An examination of the effectiveness literature (1996-2001). Contemporary Issues in Technology and Teacher Education [Online serial], 2(4). Retrieved from http://www.citejournal.org/volume-2/issue-4-02/social-studies/computer-technology-in-the-social-studies-an-examination-of-the-effectiveness-literature-1996-2001</ref> ভূমিকা-ভিত্তিক চিন্তা উন্নয়নে সহায়ক শিক্ষণ উপকরণের একটি উদাহরণ হলো মুসে-ম্যাককর্ড-এর অনলাইন গেম সংগ্রহ (http://www.mccord-museum.qc.ca/en/keys/games/)। বিশেষভাবে, ভিক্টোরিয়ান যুগ এবং গর্জে ওঠা বিশের দশকের গেমগুলো শিক্ষার্থীদের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে উপযুক্ত সিদ্ধান্ত নিতে এবং সেই সময়কাল অতিক্রম করতে সহায়তা করে। এই গেমগুলো জাদুঘরের সংশ্লিষ্ট সংস্থানগুলোর সাথে সংযুক্ত। এটি শিক্ষার্থীদের ঐতিহাসিক সময়কাল সম্পর্কে গভীরতর বোঝাপড়া গড়ে তুলতে পারে। ইতিহাসের নৈতিক উপাদান শেখাতে ঐতিহাসিক বর্ণনা, ঐতিহাসিক ঘটনাবলীর উপর নৈতিক অবস্থান নিয়ে বিতর্ক এবং গৌণ তথ্যসূত্র বিশ্লেষণের কৌশল ব্যবহার করা যেতে পারে।
সারাংশে, পেশাদার ঐতিহাসিকদের ইতিহাস অধ্যয়নের কৌশল শিক্ষার্থীদের মধ্যে ঐতিহাসিক চিন্তা উন্নয়নে সহায়ক বলে বিবেচিত হয়। পেশাদার ঐতিহাসিকদের প্রমাণ মিলিয়ে দেখা, উৎস বিশ্লেষণ, এবং ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট প্রতিষ্ঠার মত জ্ঞানীয় প্রক্রিয়াগুলি সেইক্সাস ও মর্টনের ''দ্য বিগ সিক্স হিস্ট্রিকাল থিংকিং কনসেপ্ট'' (''ছয়টি বড় ঐতিহাসিক চিন্তাভাবনার ধারণা'' - ২০১৩)-এ প্রতিফলিত হয়েছে। ঐতিহাসিক চিন্তা শিক্ষার্থীদের সমস্যা সমাধানের দক্ষতা দেয়। এটি তাদের অতীত বোঝার পাশাপাশি বর্তমানের সাথে যুক্ত করে, তাদের দৃষ্টিভঙ্গিকে প্রসারিত করে, প্রচলিত সামাজিক অবস্থাগুলো উপলব্ধি করতে এবং পৃথিবীর সাথে তাদের সম্পর্ক গঠনে প্রভাব ফেলে। ঐতিহাসিক চিন্তা প্রকল্পের ওয়েবপেজ (http://historicalthinking.ca/lessons) এ সমস্ত ঐতিহাসিক দক্ষতার জন্য শিক্ষণ কৌশল দেখা যাবে।
== অ্যাকাডেমিক বিতর্কের মাধ্যমে শিক্ষা ==
''[[চিন্তন ও নির্দেশনা/সমস্যা সমাধান, সমালোচনামূলক চিন্তন ও যুক্তি#শব্দকোষ অ্যাকাডেমিক বিতর্ক|অ্যাকাডেমিক বিতর্কের]]'' পদ্ধতি ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের বিতর্ক ও সমালোচনামূলক চিন্তার দক্ষতা শেখানো একটি কার্যকর উপায় হতে পারে। অ্যাকাডেমিক বিতর্কে চারজনের একটি সহযোগিতামূলক দলকে দুটি জোড়ায় ভাগ করে একটি বিতর্ক বা বিষয়ে বিপরীত অবস্থান দেওয়া হয়, এরপর উভয় জোড়া তাদের নির্ধারিত অবস্থানের পক্ষে যুক্তি দেয়। তারপর তারা তাদের অবস্থান পরিবর্তন করে আবার যুক্তি উপস্থাপন করে, এবং অবশেষে, চারজনের দলটি মিলে একটি সর্বজনীন সমাধানে পৌঁছায় <ref>Johnson, D. W., & Johnson, R. T. (1993). Creative and critical thinking through academic controversy. The American Behavioral Scientist, 37(1), 40-53. Retrieved from https://www.proquest.com/docview/1306753602</ref>। এই কার্যক্রম বিতর্ক ও সমালোচনামূলক চিন্তার উভয় দিক শেখাতে কার্যকর হতে পারে, যদিও এটি কিছুটা পুরনো হতে পারে। কার্যক্রমটি স্বভাবতই বিতর্কমূলক। কারণ শিক্ষার্থীদের দুটি ভিন্ন অবস্থানের জন্য যুক্তি ও দাবির উদ্ভাবন করতে হয়। এই ভারসাম্য বিতর্কের প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটি শিক্ষার্থীদের তাদের নিজস্ব যুক্তি ও বিপক্ষের যুক্তি মূল্যায়নের সুযোগ দেয়। এটি যেকোনো বিতর্কে উপকারী হতে পারে। এছাড়াও, এই কার্যক্রম শিক্ষার্থীদের সমালোচনামূলক চিন্তার কয়েকটি দিক যেমন মূল্যায়ন, যুক্তিবোধ, এবং আত্মপর্যালোচনার সাথে যুক্ত করে। কারণ শিক্ষার্থীদের একটি সমন্বিত সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে হয়। এটি তাদের বিশ্লেষণাত্মক ও উদার মানসিকতা চর্চা করতে বাধ্য করে। এই কার্যক্রম শিক্ষার্থীদের উন্মুক্ত মন ও বিশ্লেষণাত্মক বিতর্কে অংশগ্রহণে উৎসাহিত করে। এটি সমালোচনামূলক চিন্তা ও বিতর্ক দক্ষতা বৃদ্ধিতে সহায়ক।
= শব্দকোষ =
; অ্যাকাডেমিক বিতর্ক
: একটি দ্বি-রাউন্ড বিতর্ক প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে ৪ জনের একটি সমবায় গ্রুপ বিরোধী জোড়ায় বিভক্ত হয় যা একটি বিতর্কে জড়িত। প্রতিটি জুটি তাদের নিজস্ব অবস্থানের জন্য যুক্তি দেয় এবং পরবর্তী রাউন্ডে বিরোধী অবস্থানে স্যুইচ করে।
; অ্যালগরিদম
: পদ্ধতিগুলো নির্দিষ্ট সমস্যাগুলোতে প্রয়োগ করা যেতে পারে যা সঠিকভাবে কার্যকর করা হলে সঠিক উত্তরের নিশ্চয়তা দেয়।
; অ্যানাক্রোনিজম
: এক সময়কালের বৈশিষ্ট্য বা ঘটনাকে অন্য সময়কালের জন্য দায়ী করা।
; বিশ্লেষণ
: আরও অনুমান এবং ব্যাখ্যার অনুমতি দেওয়ার জন্য প্রাসঙ্গিক তথ্য সনাক্তকরণ এবং নির্বাচন।
; যুক্তিতর্ক
: কোনও দাবি বা ধারণাকে সমর্থন বা খণ্ডন করার জন্য যুক্তি ব্যবহার করার প্রক্রিয়া।
; সমালোচনামূলক চিন্তন
: তথ্য ওজন, মূল্যায়ন এবং বোঝার সমন্বয়ে একটি প্রতিফলিত চিন্তাভাবনা
; ছাড়
: এক ধরণের যুক্তি যেখানে সাধারণ থেকে নির্দিষ্ট সিদ্ধান্তগুলো তৈরি করা হয়, প্রদত্ত তথ্য
; বর্ণনামূলক মডেল
: একটি নির্দেশমূলক পদ্ধতি যা ব্যাখ্যা করে কীভাবে ভাল চিন্তাভাবনা ঘটে।
; নকশা চিন্তাভাবনা
: শিক্ষার্থী কেন্দ্রিক শিক্ষা একটি বাস্তব-বিশ্বের সমস্যার সমাধান খুঁজে বের করার সাথে জড়িত।
; সরাসরি নির্দেশনা
: একটি গাইডেড লার্নিং পদ্ধতি যা সরাসরি জ্ঞানীয় দক্ষতা শেখায় এবং জ্ঞান স্পষ্টভাবে শিক্ষক থেকে শিক্ষার্থীর কাছে প্রেরণ করা জড়িত।
; স্বভাব [সমালোচনামূলক চিন্তার জন্য]
: বুদ্ধিবৃত্তিক আচরণে জড়িত হওয়ার জন্য একটি ঝোঁক, এই ধরনের আচরণগুলো জড়িত হতে পারে এমন সুযোগগুলোর প্রতি সংবেদনশীলতা এবং সমালোচনামূলক চিন্তনয় জড়িত হওয়ার জন্য একটি সাধারণ ক্ষমতা সহ সচেতনভাবে একটি দক্ষতা চয়ন করার ক্ষমতা।
; ডাইভারজেন্ট থিংকিং
: একাধিক এবং বৈচিত্র্যময় সমাধানের প্রজন্ম এবং পরীক্ষার দ্বারা চিহ্নিত চিন্তাভাবনা।
; ডোমেন নির্দিষ্ট জ্ঞান
: একটি বিশেষ এলাকা বা ক্ষেত্রের জ্ঞান।
; জ্ঞানতাত্ত্বিক বিশ্বাস
: প্রকৃতি ও জ্ঞান অর্জন সম্পর্কে বিশ্বাস।
; মূল্যায়ন
: বিশ্লেষণ, বিচার এবং ওজন করার উপ দক্ষতার জন্য একটি ছাতা শব্দ
; কার্যকরী স্থিরতা
: একটি পক্ষপাত যা কোনও ব্যক্তিকে কেবলমাত্র দৈনন্দিন জীবনে যেভাবে ব্যবহৃত হয় সেভাবে কোনও বস্তু ব্যবহার করতে সীমাবদ্ধ করে।
; অসুস্থ-সংজ্ঞায়িত সমস্যা
: যে সমস্যাগুলোর একটি সুস্পষ্ট লক্ষ্য, সমাধানের পথ বা প্রত্যাশিত উত্তর নেই।
; পরোক্ষ নির্দেশনা
: শিক্ষার্থী কীভাবে শেখানো উপাদানকে ব্যাখ্যা করে তার উপর জোর দিয়ে উপাদানগুলোর শিক্ষার্থী-ভিত্তিক নির্দেশনা
; আনয়ন
: এক ধরণের যুক্তি যেখানে নির্দিষ্ট তথ্য থেকে সাধারণ সিদ্ধান্তে আসা হয়
; অনুমান
: জ্ঞানের দুটি ইউনিটের মধ্যে এক ধরণের সংযোগ বা সমিতি
; অনুসন্ধান ভিত্তিক নির্দেশনা
: ন্যূনতম নির্দেশিত শিক্ষার একটি ফর্ম যা শিক্ষার্থীদের উপকরণগুলোর নিজস্ব বোঝার তৈরি করতে দেয়।
; জ্ঞান
: একজনের কাছে যে তথ্য রয়েছে, এর মধ্যে পরিচিত তথ্যের মধ্যে সংযোগ এবং সমিতি অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে
; মেটাকগনিশন
: জ্ঞান মানুষের নিজস্ব চিন্তা সম্পর্কে থাকে।
; পর্যায়ক্রম
: অতীতকে সময়ের স্বতন্ত্র ব্লকে শ্রেণিবদ্ধ করা (সময়কাল)।
; প্রেসক্রিপশন মডেল
: একটি নির্দেশমূলক পদ্ধতি যা ভাল চিন্তাভাবনার মানদণ্ড এবং বৈশিষ্ট্যগুলো ব্যাখ্যা করে
; উপস্থাপনবাদ
: বর্তমান সময়ের মূল্যবোধ এবং ধারণাগুলো ব্যবহার করে অতীতের ঘটনাগুলো ব্যাখ্যা করার প্রবণতা।
; সমস্যা ভিত্তিক শিক্ষা
: একটি ছাত্র-কেন্দ্রিক পদ্ধতি যেখানে শিক্ষার্থীরা একটি উন্মুক্ত সমস্যা বা প্রশ্ন সমাধানের অভিজ্ঞতার মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট বিষয় সম্পর্কে শিখতে পারে।
; সমস্যা উপস্থাপনা
: সমস্যা সমাধানকারীদের সমস্যাটি আরও ভালভাবে কল্পনা করার অনুমতি দেয় এবং এইভাবে তাদের সমাধানে পৌঁছাতে সহায়তা করে।
; সমস্যা সমাধান
: কগনিটিভ প্রসেসিং 'একটি লক্ষ্য অর্জনের জন্য ব্যবহৃত হয় যখন সমাধানকারীর কাছে কোনও সমাধান স্পষ্ট হয় না।
; উৎপাদন
: তর্কের প্রজন্ম
; প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা
: একটি ছাত্র-কেন্দ্রিক পদ্ধতি যেখানে শিক্ষার্থী একটি নির্দিষ্ট নকশা প্রক্রিয়ার মাধ্যমে একটি জটিল চ্যালেঞ্জের প্রতিক্রিয়া জানায়।
; স্ব-নিয়ন্ত্রণ
: নিজের শেখার ক্ষেত্রে মেটাকগনিটিভ, আচরণগতভাবে এবং অনুপ্রেরণামূলকভাবে সক্রিয় হওয়ার প্রক্রিয়া
; দক্ষতা কর্মসূচী
: সমস্যা সমাধানের মতো বিকল্প শিক্ষণ পদ্ধতির মাধ্যমে সিটি দক্ষতার বিকাশের সুবিধার্থে নকশা করা শিক্ষামূলক পাঠ্যক্রম
; সুসংজ্ঞায়িত সমস্যা
: যে সমস্যাগুলোর একটি সুস্পষ্ট লক্ষ্য, সমাধানের পথ বা প্রত্যাশিত উত্তর নেই।
= প্রস্তাবিত পাঠ =
# আব্রামি, পি.সি., বার্নার্ড, আর.এম., বোরোখভস্কি, ই., ওয়েড, এ., সার্কস, এম.এ., তামিম, আর., এবং ঝাং, ডি (২০০৮)। সমালোচনামূলক চিন্তন দক্ষতা এবং স্বভাবগুলোকে প্রভাবিত করে এমন নির্দেশমূলক হস্তক্ষেপ: একটি পর্যায় ১ মেটা-বিশ্লেষণ। শিক্ষাগত গবেষণা পর্যালোচনা, ৭৮ (৪)। ১১০২-১১৩৪. ডিওআই: ১০.৩১০২ / ০০৩৪৬৫৪৩০৮৩২৬০৮৪।
# Phan, H.P. (২০১০)। শিক্ষণ এবং শেখার ক্ষেত্রে একটি স্ব-নিয়ন্ত্রক প্রক্রিয়া উপাদান হিসাবে সমালোচনামূলক চিন্তন। সাইকোথেমা, ২২ (২)। ২৮৪-২৯২.
# Kozulin, A. & Presseisen, B.Z. (১৯৯৫)। মধ্যস্থতা শেখার অভিজ্ঞতা এবং মনস্তাত্ত্বিক সরঞ্জাম: শিক্ষার্থী শেখার একটি গবেষণায় ভাইগটস্কি এবং ফয়েরস্টাইনের দৃষ্টিভঙ্গি। শিক্ষাগত মনোবিজ্ঞানী, ৩০ (২), ৬৭-৭৫।
# Crowell, A., & Kuhn, D. (২০১১)। তরুণ কিশোর-কিশোরীদের চিন্তাভাবনা বিকাশের বাহন হিসাবে সংলাপমূলক যুক্তি। মনস্তাত্ত্বিক বিজ্ঞান, ২২ (৪), ৫৪৫-৫৫২। ডিওআই: ১০.১১৭৭ / ০৯৫৬৭৯৭৬১১৪০২৫১২।
== বহিঃসংযোগ ==
2jtcoeckuzlqaz58wf5edbm3tido7hi
পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/অলঙ্করণ/লেখক/রীতিনীতি
0
26302
85795
85764
2025-07-07T20:02:40Z
Mehedi Abedin
7113
85795
wikitext
text/x-wiki
=নিজস্ব লিখনশৈলী তৈরি করার নির্দেশিকা=
লিখনশৈলী অনেক কিছু বোঝায়। এক প্রান্তে রয়েছে লেখকের লেখাকে অনন্য করে তোলার বৈশিষ্ট্যসমূহ। অপর প্রান্তে রয়েছে আইনি বা বৈজ্ঞানিক লেখার শৈলী, যা নির্দিষ্ট কিছু পেশাজীবী—যেমন আইনজীবী বা বিজ্ঞানীদের—মধ্যে প্রচলিত লেখার বৈশিষ্ট্য নির্দেশ করে। শৈলী বলতে একটি লেখার পাঠযোগ্যতাও বোঝায়—যদি তা পরিষ্কার, দুর্বোধ্য বা অনুপ্রেরণাদায়কভাবে লেখা হয়।
কর্মক্ষেত্রে আপনি একদিকে আপনার পেশাগত শৈলীর প্রচলিত রীতি এবং আপনার নিয়োগকর্তা প্রতিষ্ঠানের স্টাইল মেনে চলেন, অন্যদিকে ব্যক্তিগত অভিব্যক্তিও প্রকাশ করেন। এতে পাঠকের জন্য পড়া সহজ হয় এবং তারা পড়ার সময় প্রভাবিত হন। আপনার বিকল্পগুলো বিবেচনা করুন এই দৃষ্টিকোণ থেকে যে, তা পাঠকের কাছে আপনার লেখার ব্যবহারযোগ্যতা ও প্রভাবশীলতা কেমনভাবে উপস্থাপন করবে। পাঠক যা দেখেন, তার ভিত্তিতে তারা আপনার সম্পর্কে এবং আপনার মনোভাব নিয়ে একটি ধারণা তৈরি করেন—যা আপনার যোগাযোগের প্রভাব বাড়াতে বা কমাতে পারে। আপনার লেখনীতে নিজের ভয়েস গঠন ও নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা আপনার লেখার সফলতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
== নির্দেশিকা ১: কী প্রত্যাশিত তা খুঁজে বের করুন ==
<div style="width:60%; min-width: 550px;">
একটি কার্যকরী ভয়েস বা কণ্ঠস্বর হলো এমন একটি যা পাঠকের দৃষ্টিকোণে প্রাসঙ্গিক ও উপযুক্ত। তবে, আপনি বিষয়বস্তু, শব্দচয়ন এবং আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে আপনার শ্রোতাদের নির্ধারণ করতে পারেন। আপনার কণ্ঠস্বর ও শৈলী পাঠকদের জন্য প্রাসঙ্গিক হওয়া উচিত। কণ্ঠস্বরটি স্পষ্ট হওয়া জরুরি যে, এটি কার উদ্দেশ্যে রচিত।
আমার পাঠকেরা আমার লেখাকে কতটা আনুষ্ঠানিক ভাববে?
: যখন আপনি সংকোচন (যেমন:না) এবং কথ্য শব্দ বা বাক্যাংশ ব্যবহার করেন, তখন লেখাটি অনানুষ্ঠানিক, কথোপকথনের মতো শোনায়।
: ''নোট: ছোট শব্দ ব্যবহারে লেখাটি অনানুষ্ঠানিক হয় না। বাস্তবে, অনেকেই সহজ ভাষা পছন্দ করেন যাতে জটিল ধারণাগুলো পড়তে সহজ হয়। বড় শব্দ পাঠকদের বিভ্রান্ত করতে পারে, বা লেখাটিকে ঔদ্ধত্যপূর্ণ শোনাতে পারে। এটি দীর্ঘ বাক্যের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক উভয় ধরনের লেখাতেই এগুলো এড়িয়ে চলা উচিত।''
: আনুষ্ঠানিক শৈলীতে সঠিক শব্দচয়ন, বাক্যগঠন, আনুষ্ঠানিক
বাক্যরীতি ও উপযুক্ত ভাষা ব্যবহার করা হয়। আপনার লেখার শৈলী নির্ধারণে সবসময় আপনার শ্রোতাদের কথা বিবেচনায় রাখুন।আনুষ্ঠানিক ভাষা ব্যবহারের অনেক ক্ষেত্র রয়েছে যেমন বক্তৃতা, সেবা, শোকবার্তা এবং প্রবন্ধ। এই ধরনের লেখাগুলিতে শ্রোতার বয়স যতই হোক না কেন, আনুষ্ঠানিক ভাষা সব বয়সের জন্য উপযুক্ত হতে পারে। অনানুষ্ঠানিক ভাষার ব্যবহার যেমন বন্ধুকে চিঠি লেখা বা ডায়েরিতে লেখার ক্ষেত্রে উপযুক্ত। কখনও কখনও অনানুষ্ঠানিক লেখা আরও আন্তরিক মনে হতে পারে, কারণ এতে আবেগ স্পষ্ট হয়।
আমার পাঠকেরা আমার লেখাকে কতটা ব্যক্তিক বা নিরপেক্ষ মনে করবে?
: ব্যক্তিগত বা সাবজেকটিভ শৈলীতে আপনি “আমি” ব্যবহার করে নিজের মতামত দেন এবং নিজেকে লেখায় উপস্থাপন করেন। নিরপেক্ষ বা অবজেকটিভ শৈলীতে আপনি নিজের উপস্থিতিকে গোপন করেন, মতামতকে তথ্য হিসেবে উপস্থাপন করেন এবং নিজের কাজগুলো তৃতীয় পুরুষে বা নির্বিকার কণ্ঠে বলেন। নিরপেক্ষ লেখা বেশি আনুষ্ঠানিক এবং পেশাদার ও কারিগরি লেখার ক্ষেত্রে এটি প্রত্যাশিত।
আমার পাঠকেরা আমার সাথে কতটা "দূরত্ব" প্রত্যাশা করে?
: ব্যক্তিগত শৈলীতে আপনি পাঠকের খুব কাছাকাছি থাকেন, কারণ আপনি ব্যক্তিগত সর্বনাম ব্যবহার করেন এবং পাঠকদের সরাসরি সম্বোধন করেন। লেখার কথোপকথনধর্মী ধরণও এই ঘনিষ্ঠতা বোঝাতে পারে। অন্যদিকে, অপারসোনাল বা নিঃসঙ্গ শৈলীতে আপনি ব্যক্তিগত সর্বনাম এড়িয়ে যান এবং নিজের ও পাঠকদের তৃতীয় পুরুষে উল্লেখ করেন, যাতে দূরত্ব সৃষ্টি হয়। আপনি কোন শৈলী ব্যবহার করবেন তা নির্ভর করে লেখার উদ্দেশ্য এবং শ্রোতার উপর।
::<u>পাঠকের শৈলীগত প্রত্যাশাকে প্রভাবিত করে এমন বিষয়সমূহ:</u>
::* পাঠকের সঙ্গে আপনার পেশাগত সম্পর্ক।
::* আপনার উদ্দেশ্য।
::* বিষয়বস্তু।
::* আপনার ব্যক্তিত্ব।
::* আপনার নিয়োগকর্তার প্রতিষ্ঠানের রীতিনীতি।
::* আপনার ক্ষেত্র, পেশা বা শাখার রীতিনীতি।
যদি প্রত্যাশিত শৈলী অকার্যকর হয়?
: ''নোট: কখনও কখনও প্রত্যাশিত শৈলী অন্যান্য বিকল্প অপেক্ষা কম কার্যকর হতে পারে।''
: উদাহরণস্বরূপ, কিছু প্রতিষ্ঠানে প্রত্যাশিত শৈলী একটি বহুল নিন্দিত শৈলী—''ব্যুরোক্রেটিজ'' নামে পরিচিত। এই ধরনের লেখায় অপ্রয়োজনীয় শব্দ ব্যবহার করে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ঢেকে ফেলা হয়, দুর্বল ক্রিয়া ব্যবহারে কার্যকলাপ অস্পষ্ট হয়, এবং বিমূর্ত শব্দে লেখাটি বাস্তবতা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
: প্রায়ই এই শৈলীতে অতিরঞ্জিত শব্দভাণ্ডার এবং অহঙ্কারপূর্ণ গাম্ভীর্য থাকে, যা লেখকের বক্তব্য বোঝা কঠিন করে তোলে বা পুরোপুরি বাধাগ্রস্ত করে।
ব্যুরোক্রেটিজ: উৎপাদন প্রক্রিয়ায় সর্বোত্তম গুণগত মান নিয়ন্ত্রণের অনুশীলন অনুসারে, প্রতিটি উপাদানকে তার সরবরাহকারী বা উৎস থেকে পাওয়ার পর কিন্তু চূড়ান্ত সমাবেশের আগে আলাদাভাবে পরীক্ষা ও যাচাই করা গুরুত্বপূর্ণ।
সাধারণ ভাষা: কার্যকর গুণগত নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রতিটি উপাদান চূড়ান্ত সমাবেশের আগে আলাদাভাবে পরীক্ষা করতে হয়।
ব্যুরোক্রেটিজ: সর্বশেষ মাসিক সময়কালে, ধীর গতির পরিষেবা নিয়ে গ্রাহকদের করা অভিযোগের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
সাধারণ ভাষা: গত মাসে অনেক বেশি গ্রাহক ধীর পরিষেবা নিয়ে অভিযোগ করেছেন।
: ব্যুরোক্রেটিজ একটি এতটাই গুরুতর প্রতিবন্ধকতা যে যুক্তরাষ্ট্রের অনেক অঙ্গরাজ্যে সরকারি প্রকাশনা এবং অন্যান্য দলিল (যেমন বীমা নীতি)–এ সাধারণ ইংরেজি ব্যবহারের জন্য আইন পাস হয়েছে। এই নির্দেশিকাগুলো আপনাকে ব্যুরোক্রেটিজ এড়াতে সাহায্য করবে। তবে, কিছু ব্যবস্থাপক ও প্রতিষ্ঠান এখনো ভাবেন যে, এই ফুলানো শৈলী খুবই প্রভাবশালী শোনায়। যদি আপনাকে ব্যুরোক্রেটিজ লেখার অনুরোধ করা হয়, তাহলে আপনি কেন সহজবোধ্য শৈলী বেশি কার্যকর তা বোঝানোর চেষ্টা করুন। যদি বোঝাতে ব্যর্থ হন, তবে সতর্ক থাকুন। প্রয়োজনীয় শৈলী ব্যবহার করুন। এমনকি সাধারণভাবে ব্যুরোক্রেটিক শৈলীর মধ্যেও আপনি কিছু উন্নতি করতে পারেন। উদাহরণস্বরূপ, যদি আপনার নিয়োগকর্তা শব্দবহুল ও বিমূর্ত শৈলী প্রত্যাশা করেন, তবুও আপনি অপেক্ষাকৃত কম ফুলানো শব্দভাণ্ডার ব্যবহার করতে পারেন।
</div>
==='''নির্দেশিকা ২: আপনার ক্রিয়াপদে কর্মটি যুক্ত করুন'''===
অধিকাংশ বাক্যই কর্ম নিয়ে। বিক্রি বৃদ্ধি পায়, যন্ত্রপাতি বিকল হয়, প্রকৌশলীরা ডিজাইন করেন, ব্যবস্থাপকরা অনুমোদন দেন। অথচ অনেকেই কর্মকে লুকিয়ে রাখেন বিশেষ্য, বিশেষণ এবং অন্যান্য পদে।
নিম্নের বাক্যটি বিবেচনা করুন: আমাদের বিভাগ দুই মাসের মধ্যে নতুন যন্ত্রপাতিতে রূপান্তর সম্পন্ন করেছে।
এই বাক্যটিকে আরও সক্রিয় করা যায় যদি "রূপান্তর" ক্রিয়াপদে ব্যবহার করা হয়: আমাদের বিভাগ দুই মাসের মধ্যে নতুন যন্ত্রপাতিতে রূপান্তরিত হয়েছে।
<u>বাক্যকে ক্রিয়ার উপর কেন্দ্রীভূত করা</u>
• ''হতে'' ক্রিয়া বা তার রূপ (''হয়, ছিল, হবে, ইত্যাদি'') ব্যবহার করা এড়িয়ে চলুন।
''হতে'' ক্রিয়াটি প্রায়শই বলে কিছু কী *আছে*, কিন্তু কী *করে* তা নয়।
'''মূল''': জীবাণুমুক্তকরণ প্রক্রিয়াটি পুনরায় সংক্রমণ থেকে <u>একটি সুরক্ষা</u>।
'''পরিবর্তিত''': জীবাণুমুক্তকরণ প্রক্রিয়াটি পুনরায় সংক্রমণ থেকে <u>সুরক্ষা প্রদান করে</u>।
• ''এটা'' বা''আছে'' দিয়ে শুরু হওয়া বাক্য এড়িয়ে চলুন।
'''মূল''': কাঁচামালের মূল্য ব্যাপকভাবে বেড়ে যাওয়ার কারণেই সমাপ্ত পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে।
'''পরিবর্তিত''': কাঁচামালের মূল্য বেড়ে যাওয়ায় সমাপ্ত পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে।
'''মূল''': বাঁধের শক্তি নিয়ে প্রকৌশলীদের প্রশ্ন তোলার পেছনে <u>কয়েকটি কারণ রয়েছে</u>।
'''পরিবর্তিত''': কয়েকটি কারণ প্রকৌশলীদের বাঁধের শক্তি নিয়ে প্রশ্ন তুলতে বাধ্য করছে।
• ''-tion, -ment, -ing, -ion, -ance'' ইত্যাদি প্রত্যয়যুক্ত শব্দে কর্মকে নামজ করে ফেললে তা এড়িয়ে চলুন।
'''মূল''': অতএব, আমি একটি <u>সুপারিশ</u> করতে চাই যে বিভাগটি অতিরিক্ত দুইজন প্রোগ্রামার নিয়োগ দিক।
'''পরিবর্তিত''': অতএব, আমি <u>সুপারিশ করছি</u> যে বিভাগটি অতিরিক্ত দুইজন প্রোগ্রামার নিয়োগ দিক।
যদিও বেশিরভাগ বাক্য কর্ম সম্পর্কিত, কিছু বাক্য নয়। উদাহরণস্বরূপ, বিষয় এবং পূর্বাভাসমূলক বাক্য প্রায়শই তালিকা উপস্থাপন বা আলোচনার গঠন ব্যাখ্যা করতে ব্যবহৃত হয়।
উদাহরণ: এই বাক্যে ''হতে'' উপযুক্ত—
কোম্পানির উচিত প্রধান দপ্তর এবং বাইরের রাজ্যের প্ল্যান্টগুলোর মধ্যে যোগাযোগ উন্নয়নে বিনিয়োগ করার তিনটি প্রধান কারণ আছে।
==='''নির্দেশিকা ৩: অ্যাকটিভ বাক্য ব্যবহার করুন যদি না নিষ্ক্রিয় বাক্য ব্যবহার করার সঙ্গত কারণ থাকে'''===
আপনার বাক্যকে কর্ম এবং কর্মকারীর উপর কেন্দ্রীভূত করার আরেকটি উপায় হলো ''সক্রিয় রচনারীতি'' ব্যবহার করা, নিষ্ক্রিয় রচনারীতি নয়। অ্যাকটিভ বাক্য লেখার জন্য, কর্মকারীর—যিনি কাজটি করেন—তাকে বিষয়বস্তু হিসেবে রাখুন। আপনার ক্রিয়াপদটি তখন সেই কর্মকারীর কাজকে প্রকাশ করবে।
'''অ্যাকটিভ বাক্য''': পরামর্শদাতা এই পরিবর্তনগুলো সুপারিশ করেছেন।
নিষ্ক্রিয় রচনায়, বাক্যের বিষয় এবং কর্মকারী আলাদা। বিষয়টি কোনো কাজের দ্বারা প্রভাবিত হয়।
'''নিষ্ক্রিয় বাক্য''': এই পরিবর্তনগুলো পরামর্শদাতার দ্বারা সুপারিশকৃত হয়েছিল।
'''নিষ্ক্রিয় বাক্য''': কোরিয়ান আকরিকটি আমাদের দ্বারা ক্রয় করা হয়েছিল।
'''অ্যাকটিভ বাক্য''': আমরা কোরিয়ান আকরিকটি ক্রয় করেছি।
গবেষণায় দেখা গেছে, পাঠকেরা অ্যাকটিভ বাক্য দ্রুত বুঝতে পারেন। সক্রিয় রচনায় অস্পষ্টতা ও দ্ব্যর্থতা কম থাকে, যা নিষ্ক্রিয় রচনায় বেশি দেখা যায়। উদাহরণস্বরূপ,(বলটি মারা হয়েছিল) ব্যাকরণগতভাবে সঠিক হলেও, কে বলটি মারল তা বলা হয়নি। কিন্তু সক্রিয় রচনায় লেখক এটি পরিষ্কার করেন:(লিন্ডা বলটি মারলেন)।
যদিও নিষ্ক্রিয় রচনায় পাঠযোগ্যতা কমে, কিছু ক্ষেত্রে এর ব্যবহার উপযোগী। যেমন, আপনি যদি কর্মকারীর নাম গোপন রাখতে চান তবে এটি কার্যকর হতে পারে। তবে সতর্ক থাকতে হবে, যাতে নিষ্ক্রিয় রচনায় কারো পরিচয় ইচ্ছাকৃতভাবে আড়াল করে নৈতিকভাবে ভুল কাজ না করা হয়, বিশেষ করে যখন কোনো দায়িত্ব এড়াতে তা ব্যবহার করা হয়।
===''নির্দেশনা ৪: সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি জোর দিন''===
পরিষ্কার, জোরালো বাক্য লেখার আরেকটি উপায় হলো আপনার পাঠকদের মনোযোগ আপনার বার্তার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যটির দিকে পরিচালিত করা।
<u>সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি জোর দেওয়ার কৌশল</u>
1. গুরুত্বপূর্ণ তথ্যটি বাক্যের শেষে রাখুন
বাক্যের শেষে মূল তথ্য রাখার জন্য কখনও কখনও খসড়া নতুনভাবে সাজাতে হতে পারে।
'''মূল''': বিভাগের কার্যকারিতা সব ক্ষেত্রেই চমৎকার হয়েছে।
'''পরিমার্জিত''': সব ক্ষেত্রেই, বিভাগের কার্যকারিতা চমৎকার হয়েছে।
'''মূল''': <u>উজ্জ্বল বাহ্যিক নকশা</u> হলো কলেজ-বয়সী ক্রেতাদের কাছে পণ্যের সবচেয়ে আকর্ষণীয় বৈশিষ্ট্যগুলোর একটি।
'''পরিমার্জিত''': কলেজ-বয়সী ক্রেতাদের কাছে পণ্যের সবচেয়ে আকর্ষণীয় বৈশিষ্ট্যগুলোর একটি হলো এর <u>উজ্জ্বল বাহ্যিক নকশা।</u>
2. মূল তথ্যটি প্রধান উপবাক্যে রাখুন
যদি আপনার বাক্যে একাধিক উপবাক্য থাকে, তাহলে যেটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তা প্রধান উপবাক্যে রাখুন।
উদাহরণ তুলনা করুন:
যদিও আমাদের উৎপাদনশীলতা কমেছে, আমাদের লাভ বেড়েছে।
যদিও আমাদের লাভ বেড়েছে, আমাদের উৎপাদনশীলতা কমেছে।
প্রথম বাক্যে প্রধান উপবাক্যে ''লাভ'' বিষয়বস্তু হওয়ায় জোর পড়েছে লাভের ওপর। দ্বিতীয় বাক্যে জোর পড়েছে উৎপাদনশীলতার ওপর, কারণ সেটি প্রধান উপবাক্যের বিষয়বস্তু।
3. টাইপোগ্রাফি ব্যবহার করে জোর দিন
বোল্ড ও ইটালিক ব্যবহার করুন। তবে সচেতন থাকুন যেন অতিরিক্তভাবে ব্যবহার না হয়। অনেক কিছু একসাথে জোর দিলে কিছুই আলাদা করে নজরে পড়ে না।
4. পাঠককে সরাসরি বলে দিন কোন তথ্যটি গুরুত্বপূর্ণ
মূল তথ্যের তাৎপর্য পাঠককে সরাসরি জানানোও এক ধরনের জোর দেওয়া।
উদাহরণ: অর্থনীতিবিদেরা শেয়ারবাজারে পতনের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ চিহ্নিত করেছেন: গত মাসের নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে অনিশ্চয়তা, টেকসই পণ্যের মজুদ বৃদ্ধি এবং—সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ—মূল্যস্ফীতির লক্ষণ।
5. অপ্রয়োজনীয় কথাবার্তা পরিহার করুন
অপ্রয়োজনীয় শব্দ বা তথ্য ব্যবসায়িক লেখায় বিশেষভাবে পরিহারযোগ্য। ব্যবসায়িক জগতে সময় মানেই টাকা। আপনার বস বা ক্লায়েন্ট যদি আপনার অতিরিক্ত শব্দে ভরা ইমেইল পড়তে সময় নষ্ট করেন, তাহলে সেটি অপ্রয়োজনীয় ব্যয়। লেখার পর পুনঃপড়ে দেখুন কোনটি সহজবোধ্য বা সুস্পষ্টভাবে বোঝানো হয়েছে কি না।
উদাহরণ: ঘড়ির কাঁটায় দেখা গেল যে সে তার কাজে পৌঁছাতে দেরি করেছে, যেখানে সে কাজ শুরু করবে।
এটি স্পষ্ট যে সময় ঘড়ির কাঁটায় দেখায় এবং কাজের জায়গায় মানুষ সাধারণত কাজই করে। এই রূঢ় উদাহরণটি দেখায় যে লেখার দৈর্ঘ্য মান বাড়ানোর গ্যারান্টি নয়। বেশিরভাগ ব্যবসায়িক পরিস্থিতিতে সংক্ষিপ্ত ও সহজবোধ্য লেখা বেশি কার্যকর।
===''নির্দেশনা ৫: বাক্যের দৈর্ঘ্য ও গঠন বৈচিত্র্যময় করুন''===
একই রকম গঠনের সব বাক্য ব্যবহার করলে দুটি সমস্যা দেখা দেয়। একঘেয়েমি আসে এবং (সব বাক্য একই রকম হওয়ায়) গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ও কম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আলাদা করে জোর দেওয়া যায় না।
এই সমস্যা এড়াতে দুটি উপায় আছে:
• বাক্যের দৈর্ঘ্যে বৈচিত্র্য আনুন।
– দীর্ঘ বাক্য বিভিন্ন ধারণার মধ্যে সম্পর্ক দেখাতে ব্যবহার করা যায়। সংক্ষিপ্ত বাক্যগুলোর মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ অংশে জোর দেওয়া যায়।
• বাক্য গঠনে বৈচিত্র্য আনুন।
– উদাহরণস্বরূপ, বাক্যের ব্যাকরণগত বিষয়বস্তু সব সময় প্রথম শব্দ হতে হবে না। যদি তা হতো, তাহলে ইংরেজি ভাষা অনেকটা তার গুরুত্ব দেওয়ার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলত। একটি বিকল্প হলো যুক্তিবদ্ধ সম্পর্ক বোঝাতে উপবাক্য দিয়ে বাক্য শুরু করা।
'''প্রারম্ভিক উপবাক্য''': <u>আমাদের জরিপ সম্পন্ন করার পর</u>, আমরা নিশ্চিতভাবে জানব প্রস্তাবিত নতুন কারখানার স্থানটি এক সময় আদিবাসীদের ক্যাম্পিং এলাকা ছিল কি না।
'''প্রারম্ভিক উপবাক্য''': <u>আমরা সব বিকল্প ভালোভাবে পর্যালোচনা করায়</u>, আমরা আত্মবিশ্বাসী যে একটি নিউম্যাটিক ড্রাইভই সবচেয়ে ভালো কাজ করবে এবং নির্ভরযোগ্য সেবা দেবে।
===''নির্দেশনা ৬: সার্বিক নির্দেশনা: আপনার পাঠক যদি আপনার ভাষায় দক্ষ না হয়, তাহলেতাদের সুবিধার্থে বাক্যগঠনে পরিবর্তন আনুন''===
আপনার বাক্যের গঠন পাঠকদের—যারা ইংরেজিতে দক্ষ নয়—বোঝার সুবিধা-অসুবিধাকে প্রভাবিত করতে পারে। তেল ও কম্পিউটার শিল্পসহ অনেক খাতে কোম্পানিগুলো বিদেশি পাঠকদের জন্য সরল ইংরেজি রচনার নিয়ম তৈরি করেছে। এই ধরনের ভাষার একটি সীমিত শব্দভাণ্ডার থাকে এবং এটি এমন ব্যাকরণগত নিয়ম অনুসরণ করে যা পাঠকদের বোঝা সহজ করে।
সব পাঠকের জন্য এতটা সরলীকরণ প্রয়োজন নাও হতে পারে। তাই আপনার নির্দিষ্ট পাঠকদের সম্পর্কে যতটা সম্ভব জানার চেষ্টা করুন। মনে রাখবেন, বাক্যের গঠন সরল করার অর্থ এই নয় যে চিন্তাধারাটিকেও সরলীকরণ করতে হবে।
<u>যারা ইংরেজিতে দক্ষ নয় এমন পাঠকদের জন্য বাক্য লেখার নির্দেশনা</u>
• সহজ বাক্যগঠন ব্যবহার করুন। – যত বেশি জটিল হবে, পাঠকদের বোঝা তত কঠিন হবে।
• বাক্য সংক্ষিপ্ত রাখুন। – দীর্ঘ বাক্য, গঠন সহজ হলেও, বোঝা কঠিন হতে পারে। ২০ শব্দের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার চেষ্টা করুন।
• অ্যাকটিভ ভয়েস ব্যবহার করুন। – ইংরেজিতে দক্ষ নয় এমন পাঠকেরা প্যাসিভ ভয়েসের তুলনায় অ্যাকটিভ ভয়েস অনেক সহজে বোঝে।
==শব্দ বাছাই==
শব্দ বাছাইয়ের সময়, আপনার প্রথম লক্ষ্য হওয়া উচিত পাঠকেরা যেন দ্রুত ও সঠিকভাবে আপনার বক্তব্য বুঝতে পারে। একইসঙ্গে, মনে রাখবেন, আপনার শব্দের পছন্দ পাঠকের ওপর আপনার এবং আপনার বিষয়ে মনোভাবও প্রভাবিত করে। তাই এমন শব্দ ব্যবহার করুন যা আপনার যোগাযোগকে আরও প্রভাবশালী করে তোলে। শব্দের ব্যবহার আপনার কণ্ঠস্বর কেমন শোনা যায়, কতটা আনুষ্ঠানিক বা অনানুষ্ঠানিক, তাও নির্ধারণ করতে পারে।
==='''নির্দেশিকা ১: আপনার বাক্যগুলো সরল করুন'''===
ব্যবহারযোগ্যতা বাড়ানোর সবচেয়ে সহজ উপায় হল আপনার বাক্যগুলো সরল করা। পড়া একটি '''কঠিন কাজ'''। মনোবিজ্ঞানীরা বলেন, এই কাজের অনেকটাই শর্ট-টার্ম মেমোরি করে থাকে। এটি প্রতিটি বাক্যের শব্দগুলো কীভাবে একটি নির্দিষ্ট অর্থ তৈরি করে তা বুঝতে চেষ্টা করে। কম শব্দ মানে কম পরিশ্রম। এছাড়াও, গবেষণায় দেখা গেছে যে যখন '''আমরা''' আমাদের বার্তাটি সংক্ষিপ্তভাবে প্রকাশ করি, তখন '''আমরা''' এটিকে আরও শক্তিশালী, স্মরণযোগ্য এবং প্রভাবশালী করে তুলি।
<u>বাক্য সরল করার কৌশল</u>
১. অপ্রয়োজনীয় শব্দ বাদ দিন।
সরাসরি অর্থ প্রকাশ করতে পারেন এমন অংশগুলো খুঁজুন।
'''উদাহরণ''': কাজের ঘরের <u>শারীরিক আকার</u> এতটাই ছোট যে এই যন্ত্রপাতি <u>স্থাপন করা সম্ভব নয়</u>।
অপ্রয়োজনীয় শব্দ বাদ দিয়ে, বাক্যটি আগের মতোই স্পষ্ট এবং আরও জোরালো: কাজের ঘরটি এই যন্ত্রপাতির জন্য খুব ছোট।
২. বিশেষণ বা বিশেষ্য বিশেষনের অবস্থান ঠিক রাখুন।
শর্ট-টার্ম মেমোরি অর্থ বোঝাতে শব্দের ক্রমের উপর নির্ভর করে। সম্পর্কযুক্ত শব্দগুলো একত্রে না রাখলে বাক্যটি আপনার আসল অর্থের চেয়ে ভিন্ন কিছু বোঝাতে পারে।
'''বিচ্ছিন্ন''': ফাইল ক্যাবিনেটে একটি বড় সংখ্যক জমা না দেওয়া চেক পাওয়া গেছে, যেগুলোর মূল্য ছিল ৪১,০০০ ডলারের বেশি।
'''সুসংগঠিত''': ৪১,০০০ ডলারের বেশি মূল্যের একটি বড় সংখ্যক জমা না দেওয়া চেক ফাইল ক্যাবিনেটে পাওয়া গেছে।
৩. ছোট ছোট বাক্য একত্র করুন।
প্রায়শই, দুটি বা ততোধিক ছোট বাক্য একত্র করলে পড়া সহজ হয়, কারণ এতে মোট শব্দের সংখ্যা কমে যায় এবং পাঠক বিষয়বস্তুর মধ্যকার সম্পর্ক সহজে বুঝতে পারে।
'''আলাদা''': মার্চ মাসে হক নদীর পানি মানের অবনতি ঘটে। এই অবনতি ঘটেছিল মাসটির ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে। অতিরিক্ত পানি টমলিন কাউন্টির পানি পরিশোধন প্ল্যান্টকে অতিভার করে তোলে।
'''একত্র''': মার্চ মাসে ভারী বৃষ্টির কারণে টমলিন কাউন্টির পানি পরিশোধন প্ল্যান্ট অতিভার হয়ে পড়ায় হক নদীর পানির মানের অবনতি ঘটে।
==='''নির্দেশিকা ২: ক্রিয়া পদে কর্ম প্রকাশ করুন'''===
বেশিরভাগ বাক্যই কোনো না কোনো কর্মের উপর ভিত্তি করে গঠিত হয়। বিক্রি বৃদ্ধি পায়, যন্ত্রপাতি বিকল হয়, প্রকৌশলীরা ডিজাইন করেন, ব্যবস্থাপক অনুমোদন দেন। কিন্তু অনেকেই এই ক্রিয়াকে বিশেষ্য, বিশেষণ এবং অন্যান্য পদে লুকিয়ে ফেলেন।
উদাহরণস্বরূপ: আমাদের বিভাগ দুই মাসে নতুন যন্ত্রপাতিতে রূপান্তর সম্পন্ন করেছে।
এই বাক্যটিকে আরও কার্যকর করা যায় যদি "রূপান্তর"কে সরাসরি ক্রিয়ায় রূপান্তর করা হয়: আমাদের বিভাগ দুই মাসে নতুন যন্ত্রপাতিতে রূপান্তরিত হয়েছে।
<u>বাক্যে কর্মকে কেন্দ্রে রাখার কৌশল</u>
• ''হতে'' ক্রিয়া এবং এর রূপ (''হয়, ছিল, হবে, ইত্যাদি'') পরিহার করুন।
''হতে'' ক্রিয়া সাধারণত বলে কিছু কী, কিন্তু তা কী করে না।
'''মূল বাক্য''': জীবাণুমুক্তকরণ প্রক্রিয়াটি পুনঃসংক্রমণের বিরুদ্ধে <u>একটি সুরক্ষা</u>।
'''পরিবর্তিত''': জীবাণুমুক্তকরণ প্রক্রিয়াটি পুনঃসংক্রমণের বিরুদ্ধে <u>সুরক্ষা দেয়</u>।
• ''এটা'' বা''আছে'' দিয়ে শুরু হওয়া বাক্য পরিহার করুন।
'''মূল বাক্য''':<u>এটা</u> কারণ কাঁচামালের খরচ বেড়েছে যে সমাপ্ত পণ্যের দাম বাড়ছে।
'''পরিবর্তিত''': কাঁচামালের মূল্য বেড়ে যাওয়ায় প্রস্তুত পণ্যের দাম বাড়ছে।
'''মূল বাক্য''': <u>আছে</u>: বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে যা প্রকৌশলীদের বাঁধের শক্তি নিয়ে প্রশ্ন তোলে.
'''পরিবর্তিত''': কয়েকটি কারণ প্রকৌশলীদের বাঁধের শক্তি নিয়ে প্রশ্ন তুলতে বাধ্য করছে।
• যেসব শব্দের শেষে ''-tion, -ment, -ing, -ion, -ance'' থাকে, সেগুলোতে ক্রিয়া আটকে যায়—এই ধরনের গঠনের ব্যবহার এড়িয়ে চলুন। এরা কাজের ভাবটি বিশেষ্যে রূপান্তর করে।
'''মূল বাক্য''': তাই আমি একটি <u>প্রস্তাবনা</u> দিতে চাই যে বিভাগটি দুইজন অতিরিক্ত প্রোগ্রামার নিয়োগ দিক।
'''পরিবর্তিত''': তাই আমি <u>প্রস্তাব করছি</u>, বিভাগটি দুইজন অতিরিক্ত প্রোগ্রামার নিয়োগ দিক।
যদিও বেশিরভাগ বাক্যই কোনো কর্ম প্রকাশ করে, কিছু বাক্য কর্ম-ভিত্তিক নয়। উদাহরণস্বরূপ, কোনো বিষয়ের সারাংশ বা পূর্বাভাসমূলক বাক্য প্রায়ই তালিকা শুরু করে বা আলোচনার গঠন বোঝাতে ব্যবহৃত হয়।
যেমন একটি যথার্থ ''হতে'' ব্যবহার: কোম্পানিকে কেন কর্পোরেট সদর দপ্তর এবং বাইরের রাজ্যের কারখানাগুলোর মধ্যে যোগাযোগ উন্নত করতে বিনিয়োগ করা উচিত, তার তিনটি প্রধান কারণ <u>আছে</u>।
==='''নির্দেশিকা ৩: অ্যাকটিভ বাক্য ব্যবহার করুন, যদি না প্যাসিভ বাক্য ব্যবহারের ভাল কারণ থাকে'''===
আপনার বাক্যে কর্ম এবং কর্মীকে স্পষ্ট করতে আরেকটি পদ্ধতি হল ''অ্যাকটিভ বাক্য'' ব্যবহার করা, প্যাসিভ বাক্যের পরিবর্তে। সক্রিয় বাক্যে, কর্মী — অর্থাৎ যিনি বা যা কর্মটি করছে — বাক্যের বিষয় হিসেবে থাকে। এরপর ক্রিয়া ওই কর্মীর কর্মকে বর্ণনা করে।
'''অ্যাকটিভ বাক্য''': পরামর্শদাতা এই পরিবর্তনগুলি সুপারিশ করেছেন।
প্যাসিভ বাক্যে, বাক্যের বিষয় এবং কর্তা আলাদা হয়। বিষয়ের উপর কর্তা কর্তৃক কাজ করা হয়।
'''প্যাসিভ বাক্য''': পরিবর্তনগুলি পরামর্শদাতার দ্বারা সুপারিশ করা হয়েছিল।
'''প্যাসিভ বাক্য''': কোরিয়ান খনিজ ক্রয় করা হয়েছে।
'''অ্যাকটিভ বাক্য''': আমরা কোরিয়ান খনিজ ক্রয় করেছি।
গবেষণায় দেখা গেছে, পাঠক প্যাসিভ বাক্যের তুলনায় অ্যাকটিভ বাক্য দ্রুত বুঝতে পারেন। এছাড়াও, অ্যাকটিভ বাক্য অস্পষ্টতা ও দ্ব্যর্থতা দূর করে, যা প্রায়ই প্যাসিভ বাক্যে থাকে। উদাহরণস্বরূপ, "বলটি আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে" একটি ব্যাকরণগতভাবে সঠিক প্যাসিভ বাক্য, কিন্তু বলটি কে বা কী আঘাত করেছে তা জানায় না। সক্রিয় বাক্যে লেখক স্পষ্টভাবে কর্মীকে চিহ্নিত করেন: "লিন্ডা বলটি আঘাত করলো।"
যদিও প্যাসিভ বাক্য সাধারণত পড়া কঠিন করে, তবে এর কিছু ভালো ব্যবহারও আছে। যেমন, যখন আপনি কর্মীকে উল্লেখ করতে চান না তখন প্যাসিভ বাক্য কার্যকর হয়। যদি লেখক সিদ্ধান্ত নেন যে, রিপোর্টটি যে করেছে তার নাম না বলে তথ্যটি পাঠকের কাছে পৌঁছে দেওয়া নৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য, তখন তিনি প্যাসিভ বাক্য সঠিকভাবে ব্যবহার করেছেন। আবার, নৈতিকতার পরিপন্থী হলে প্যাসিভ বাক্য ব্যবহার করে কর্মীর দায় এড়ানো উচিত নয় — যেমন যখন কোনো প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব এড়াতে চেষ্টা করা হয়।
==='''নির্দেশিকা ৪: সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টিকে গুরুত্ব দিন'''===
পরিষ্কার এবং শক্তিশালী বাক্য লেখার আরেকটি উপায় হল পাঠকের মনোযোগ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের দিকে কেন্দ্রীভূত করা।
<u>গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের উপর জোর দেওয়া</u>
১. বাক্যের শেষে প্রধান তথ্য রাখুন
প্রধান তথ্য বাক্যের শেষে রাখতে চাইলে প্রাথমিক খসড়া কিছুটা পুনর্বিন্যাস করতে হতে পারে।
'''মূল বাক্য''': বিভাগের কর্মক্ষমতা সব ক্ষেত্রে চমৎকার হয়েছে।
'''সংশোধিত বাক্য''': সব ক্ষেত্রে, বিভাগের কর্মক্ষমতা চমৎকার হয়েছে।
'''মূল বাক্য''': উজ্জ্বল বাইরের নকশা কলেজবয়সী গ্রাহকদের কাছে পণ্যের সবচেয়ে আকর্ষণীয় বৈশিষ্ট্যগুলোর একটি।
'''সংশোধিত বাক্য''': কলেজবয়সী গ্রাহকদের কাছে পণ্যের সবচেয়ে আকর্ষণীয় বৈশিষ্ট্যগুলোর একটি হল উজ্জ্বল বাইরের নকশা।
২. প্রধান বাক্যে প্রধান তথ্য রাখুন
যদি বাক্যে একাধিক বাক্যাংশ থাকে, তবে প্রধান তথ্য প্রধান বাক্যাংশে রাখুন। নিচের দুইটি বাক্যের তুলনা করুন:
আমাদের উৎপাদনশীলতা কমেছিল, তবে লাভ বৃদ্ধি পেয়েছে।
লাভ বৃদ্ধি পেয়েছে, তবে আমাদের উৎপাদনশীলতা কমেছিল।
প্রথম বাক্যে জোর দেয়া হয়েছে লাভের উপর কারণ ‘লাভ’ প্রধান বাক্যের বিষয়। দ্বিতীয় বাক্যে ‘উৎপাদনশীলতা’ প্রধান বিষয় হওয়ায় তা বেশি গুরুত্ব পায়। (মনোযোগ দিন, গুরুত্বপ্রাপ্ত তথ্যটি প্রধান বাক্যাংশে এবং বাক্যের শেষে থাকে।)
৩. টাইপোগ্রাফিক্যালি গুরুত্বপূর্ণ তথ্যকে হাইলাইট করুন
বোল্ড এবং ইটালিক ব্যবহার করুন। তবে, অতিরিক্ত হাইলাইটিং এড়িয়ে চলুন। অনেক কিছু হাইলাইট করলে কোনো কিছুই আলাদা করে চোখে পড়ে না।
৪. পাঠককে স্পষ্টভাবে জানান কোন তথ্যটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ
আপনি পাঠকদের জানিয়ে দিতে পারেন কোন তথ্যটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
উদাহরণ: অর্থনীতিবিদরা স্টক মার্কেটের পতনের তিনটি প্রধান কারণ উল্লেখ করেছেন: গত মাসের নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে অনিশ্চয়তা, টেকসই পণ্যের ইনভেন্টরির বৃদ্ধি, এবং—সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ—মুদ্রাস্ফীতির লক্ষণ।
৫. অবাঞ্ছিত বাক্যাংশ এড়িয়ে চলুন
অধিকাংশ লেখায় এটি সত্য হলেও, ব্যবসায়িক লেখায় এটি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। ব্যবসায় সময় অর্থ। যদি আপনার বস বা ক্লায়েন্টরা আপনার অবাঞ্ছিত বাক্যে ভর্তি ইমেইল পড়তে সময় নষ্ট করে, তাহলে সেটি সময়ের অপচয়।
উদাহরণ: ঘড়ির মুখে সময় দেখাচ্ছিল যে সে তার কাজে দেরিতে পৌঁছেছে, যেখানে সে কাজ শুরু করবে।
ঘড়িতে অবশ্যই সময় থাকে এবং কাজের জায়গায় ছাড়া আর কি করা হয়? এটি একটি সরল উদাহরণ, কিন্তু এটি দেখায় যে একটি নথির দৈর্ঘ্য তার গুণগত মান বাড়ায় না। অধিকাংশ ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে, সংক্ষিপ্ত ও সরল নথি শব্দবহুল, দীর্ঘ নথির তুলনায় ভাল কাজ করে।
==='''নির্দেশিকা ৫: উপযুক্ত সম্বন্ধ বা অনুভূতির সঙ্গে শব্দ নির্বাচন করুন'''===
গত তিনটি নির্দেশিকা ছিল শব্দের শাব্দিক বা অভিধানগত অর্থ সম্পর্কে। কাজের ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই ভাবতে হবে আপনার শব্দগুলোর পাঠকের সঙ্গে কোন ধরনের সম্বন্ধ বা অনুভূতি জড়িত আছে কিনা। বিশেষ করে, শব্দের ''অনুভূতি'' এবং ''নিবন্ধন'' সম্পর্কে বিশেষ যত্নবান হোন।
<u> (অনুভূতি বা ইঙ্গিত)</u>
অনুভূতি হলো কোনো শব্দের শাব্দিক অর্থের বাইরে থাকা প্রস্তাবিত বা বিস্তৃত অর্থ। উদাহরণস্বরূপ, অভিধান অনুযায়ী ''ফ্ল্যাটফুট'' এবং ''পুলিশ গোয়েন্দা'' সমার্থক হলেও, তারা বিভিন্ন অনুভূতি তৈরি করে: ''ফ্ল্যাটফুট'' এমন এক ধরনের পুলিশকে বোঝায় যে ধীর, হয়তো তেমন বুদ্ধিমান নয়, যেখানে ''পুলিশ গোয়েন্দা'' বোঝায় প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত পেশাদারকে।
ক্রিয়াপদগুলোরও অনুভূতি থাকে। যেমন, কারো ভুল তথ্য না দেখার কথা ''পরামর্শ দেওয়া'' করা এবং ''ইঙ্গিত করা'' করা একই নয়। কোনো ক্লায়েন্টের প্রকল্পে সময় ''উৎসর্গ করা'' করা এবং ''অবসর'' করা একই নয়।
আপনার শব্দের অনুভূতি আপনার বিষয়বস্তুর প্রতি শ্রোতাদের ধারণা গঠনে বড় ভূমিকা রাখে।
'''প্রথম সংস্করণ''': আমাদের বিক্রয় দল বিভিন্ন পণ্যের নতুন বাজার খুঁজতে ক্রমাগত চেষ্টা করছে।
'''দ্বিতীয় সংস্করণ''': আমাদের বিক্রয় দল বিভিন্ন পণ্যের নতুন বাজার খুঁজতে ক্রমাগত চালিত হচ্ছে।
গবেষণায় দেখা গেছে, নমনীয় শব্দ ''চেষ্টা'' ব্যবহারে পাঠকরা মনে করেন কোম্পানি কর্মচারীদের মঙ্গল ও উদ্বেগের প্রতি সচেতন, নারী ও সংখ্যালঘুদের জন্য ইতিবাচক কর্মসূচিতে স্বেচ্ছায় অংশ নেয়, কম শ্রমশিকायत পায় এবং কর্মচারীদের ভালো পারিশ্রমিক দেয়। আর কঠোর শব্দ ''ড্রাইভিং'' ব্যবহারে এই মতামত উল্টো হয়। মাত্র সাতটি শব্দের পার্থক্যে পাঠকদের দৃষ্টিভঙ্গি এতটা বদলায়—এটাই দেখায় শব্দের অনুভূতি কতটা গুরুত্বপূর্ণ।
<u>নিবন্ধন(ব্যবহারের প্রসঙ্গ)</u>
নিবন্ধন বলতে বোঝায় শব্দের নির্দিষ্ট ধরনের যোগাযোগ পরিস্থিতি বা প্রসঙ্গে ব্যবহারের সাথে সংযুক্ত ভাব। উদাহরণস্বরূপ, কোনো রেস্তোরাঁর বিজ্ঞাপনে ''আশ্চর্যজনকভাবে '' সুস্বাদু খাবারের কথা আশা করা যায়। কিন্তু গবেষণার প্রস্তাবে কোনো সংস্থার জন্য বলা হবে যে তারা ''আশ্চর্যজনকভাবে '' ভালো গবেষণা করতে পারে, তা আমরা আশা করব না। ''আশ্চর্যজনকভাবে '' শব্দটি ভোক্তা বিজ্ঞাপনের নিবন্ধন-এ পড়ে, গবেষণা প্রস্তাবের নয়।
যদি ভুল নিবন্ধন-এর শব্দ ব্যবহার করেন, পাঠক ভাবতে পারেন আপনি আপনার ক্ষেত্রে ব্যবসা পরিচালনার পদ্ধতি বুঝেন না, আর এতে আপনার বিশ্বাসযোগ্যতা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
==='''নির্দেশিকা ৬: পাঠকের সাংস্কৃতিক পটভূমি মাথায় রেখে শব্দ নির্বাচন করুন'''===
অন্যান্য সংস্কৃতির পাঠকদের জন্য লিখলে বিশেষ যত্ন নিন। আপনার নিজের সংস্কৃতিতে স্পষ্ট শব্দ অন্য সংস্কৃতির পাঠকের কাছে ভুল বোঝাবুঝি বা বিভ্রান্তিকর হতে পারে। এমনকি ইংরেজি ভাষাভাষী অন্যান্য সংস্কৃতির পাঠকের ক্ষেত্রে ও এ সমস্যা হতে পারে। যেমন, যুক্তরাষ্ট্রে ফুটবল মানে একটি আন্ডাকারাকৃতির বল নিয়ে গোল করার খেলা, আর ইংল্যান্ড, ভারত ও অনেক স্থানে ফুটবল মানে গোল নেটের মধ্যে গোল করার জন্য গোলাকার বল নিয়ে খেলা।
পাঠকের ভাষাগত দক্ষতা ভিন্ন, তাই নির্দেশিকাগুলো প্রয়োগ করুন যতটুকু তাদের জন্য প্রয়োজন।
'''আন্তঃসাংস্কৃতিক যোগাযোগের জন্য শব্দ বাছাইয়ের নির্দেশিকা:'''
১) সহজ শব্দ ব্যবহার করুন। যত বেশি জটিল শব্দ ব্যবহার করবেন, ইংরেজিতে অপ্রভৃত পাঠকের জন্য বোঝা কঠিন হবে।
২) একই বস্তু বা বিষয়ের জন্য একই শব্দ ব্যবহার করুন। উদাহরণস্বরূপ, কোনো যন্ত্রাংশের জন্য একবার “ডায়াল” আরেকবার “কন্টোল” বলবেন না, কারণ অনুবাদে ভিন্ন শব্দ হতে পারে।
৩) পাঠক না-জানার মতো সংক্ষিপ্ত শব্দ এড়িয়ে চলুন। যেমন AI (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা), ACL (পূর্ববর্তী ক্রুসিয়েট লিগামেন্ট)।
৪) বাগধারা ও সালসলুকি ব্যবহার এড়িয়ে চলুন। যেমন, "আমরা একটি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড চাই" বলার বদলে "আমরা চাই সিদ্ধান্তটা মোটামুটি করা হোক" বলুন।
সবচেয়ে ভালো ফলাফলের জন্য যেকোনো সংস্কৃতিতে অভিজ্ঞ কারো সাহায্য নিন আপনার শব্দ বাছাই পর্যালোচনার জন্য।
==='''নির্দেশিকা ৭: নৈতিক নির্দেশিকা: অন্তর্ভুক্তিমূলক ভাষা ব্যবহার করুন'''===
আপনার কণ্ঠস্বর গঠন করার সময় এমন ভাষা ব্যবহার করুন যা সবাইকে অন্তর্ভুক্ত করে, কারো বঞ্চনা না করে। যেমন, লিঙ্গভিত্তিক বা পক্ষপাতপূর্ণ ভাষা এড়িয়ে চলুন কারণ তা নেতিবাচক রূপরেখা সমর্থন করে। এটি নারীদের ক্ষেত্রে বেশি হলেও, পুরুষদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য, যেমন নার্সিং পেশায়।
নেতিবাচক রূপরেখা সমর্থনকারী ভাষা পাঠকদের সক্ষম মানুষের ক্ষমতা ও সাফল্যের প্রতি অন্ধ করে দিতে পারে। অক্ষমতা, অসুস্থতা বা অন্যান্য সীমাবদ্ধতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের সংবেদনশীল বর্ণনাও এড়াতে হবে।
'''অন্তর্ভুক্তিমূলক ভাষার ব্যবহার'''
১) লিঙ্গনিরপেক্ষ বিশেষ্য ও সর্বনাম ব্যবহার করুন, “man” শব্দযুক্ত শব্দের পরিবর্তে।
'''বদলে ব্যবহার করুন''': businessman, workman, mailman, salesman
'''ব্যবহার করুন''': businessperson, worker, mail carrier, sales person
'''বদলে ব্যবহার করুন''': man made, man hours, man-sized job
'''ব্যবহার করুন''': synthetic, working hours, large job
২) সাধারণ মানুষের জন্য লিঙ্গভিত্তিক সর্বনাম এড়িয়ে plural pronouns বা he or she ব্যবহার করুন।
'''বদলে বলুন''': "Our home electronics cater to the affluent shopper. She looks for premium products and appreciates a stylish design."
'''ব্যবহার করুন''': "Our home electronics cater to the affluent shopper. They look for premium products and appreciate a stylish design."
'''বদলে বলুন''': "Before the owner of a new business files the first year's tax returns, he might be wise to seek advice from a certified public accountant."
'''ব্যবহার করুন''': "Before the owner of a new business files the first year's tax returns, he or she might be wise to seek advice from a certified public accountant."
৩) পুরুষ ও নারীদের সমান মাত্রায় উল্লেখ করুন।
'''বদলে বলুন''': "Mr. Sundquist and Anna represented us at the trade fair."
'''ব্যবহার করুন''': "Mr. Sundquist and Ms. Tokagawa represented us at the trade fair" অথবা "Christopher and Anna represented us at the trade fair."
৪) পত্রের শুভেচ্ছা শুরুতে লিঙ্গভিত্তিক সম্বোধন এড়ান।
'''বদলে বলুন''': Dear Sir, Gentlemen
'''ব্যবহার করুন''': সংশ্লিষ্ট বিভাগের নাম, কোম্পানির নাম বা ব্যক্তির পদবী ব্যবহার করুন: Dear Personnel Department, Dear Switzer Plastics Corporation, Dear Director of Research
৫) প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের বর্ণনায় প্রথমে ব্যক্তির কথা উল্লেখ করুন, তারপর প্রতিবন্ধকতার কথা।
'''বদলে বলুন''': the disabled, mentally retarded people
'''ব্যবহার করুন''': people with disabilities, people with mental retardation
== “মিস," "মিসেস," এবং "মিসেস” সম্পর্কে ==
অনেকেই নিশ্চিত নন ঐতিহ্যবাহী “মিস” বা “মিসেস.” ব্যবহার করবেন কি না, নাকি আধুনিক “সুশ্রী.” ব্যবহার করবেন। “মিস” বা “মিসেস.” ব্যবহার করলে মনে হতে পারে কোনো নারীর বৈবাহিক অবস্থা তার কাজের দক্ষতার সঙ্গে সম্পর্কিত। পুরুষদের ক্ষেত্রে সব সময় “জনাব.” ব্যবহার হয়, বৈবাহিক অবস্থা নির্বিশেষে। অন্যদিকে, কিছু নারী “মিস” বা “মিসেস.” পছন্দ করেন। ব্যক্তির পছন্দ জানা থাকলে সেটাই অনুসরণ করুন। না জানা থাকলে আধুনিক এবং লিঙ্গপক্ষপাত মুক্ত শব্দ ""সুশ্রী"" ব্যবহার করুন, যা আজকাল কর্মক্ষেত্রে স্বীকৃত।
=উপসংহার=
লিখনশৈলী সুগঠিত করা সফল, প্রযুক্তিগত ও পেশাগত লেখার ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আপনার কণ্ঠস্বর, বাক্যগঠন এবং শব্দ নির্বাচনের প্রতি যত্নবান হলে আপনি পাঠকদের সঙ্গে ভাল সংযোগ স্থাপন করতে পারবেন এবং তাদের লেখা গুরুত্বসহকারে নেবার জন্য অনুপ্রাণিত করতে পারবেন।
{{BookCat}}
bcvniiws6t70w3iua8v5x3f5kqmuxnl
85796
85795
2025-07-07T20:15:27Z
Mehedi Abedin
7113
85796
wikitext
text/x-wiki
=নিজস্ব লিখনশৈলী তৈরি করার নির্দেশিকা=
লিখনশৈলী অনেক কিছু বোঝায়। এক প্রান্তে রয়েছে লেখকের লেখাকে অনন্য করে তোলার বৈশিষ্ট্যসমূহ। অপর প্রান্তে রয়েছে আইনি বা বৈজ্ঞানিক লেখার শৈলী, যা নির্দিষ্ট কিছু পেশাজীবী—যেমন আইনজীবী বা বিজ্ঞানীদের—মধ্যে প্রচলিত লেখার বৈশিষ্ট্য নির্দেশ করে। শৈলী বলতে একটি লেখার পাঠযোগ্যতাও বোঝায়—যদি তা পরিষ্কার, দুর্বোধ্য বা অনুপ্রেরণাদায়কভাবে লেখা হয়।
কর্মক্ষেত্রে আপনি একদিকে আপনার পেশাগত শৈলীর প্রচলিত রীতি এবং আপনার নিয়োগকর্তা প্রতিষ্ঠানের শৈলী মেনে চলবেন, অন্যদিকে ব্যক্তিগত অভিব্যক্তিও প্রকাশ করবেন। এতে পাঠকের জন্য পড়া সহজ হয় এবং তারা পড়ার সময় প্রভাবিত হন। আপনার বিকল্পগুলো বিবেচনা করুন এই দৃষ্টিকোণ থেকে যে, তা পাঠকের কাছে আপনার লেখার ব্যবহারযোগ্যতা ও প্রভাবশীলতা কেমনভাবে উপস্থাপন করবে। পাঠক যা দেখেন, তার ভিত্তিতে তারা আপনার সম্পর্কে এবং আপনার মনোভাব নিয়ে একটি ধারণা তৈরি করেন—যা আপনার যোগাযোগের প্রভাব বাড়াতে বা কমাতে পারে। আপনার লেখনীতে নিজের ভয়েস গঠন ও নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা আপনার লেখার সফলতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
== নির্দেশিকা ১: কী প্রত্যাশিত তা খুঁজে বের করুন ==
<div style="width:60%; min-width: 550px;">
একটি কার্যকরী লিখনশৈলী হলো এমন যা পাঠকের দৃষ্টিকোণে প্রাসঙ্গিক ও উপযুক্ত। তবে, আপনি বিষয়বস্তু, শব্দচয়ন এবং আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে আপনার শ্রোতাদের নির্ধারণ করতে পারেন। আপনার কণ্ঠস্বর ও শৈলী পাঠকদের জন্য প্রাসঙ্গিক হওয়া উচিত। লিখনশৈলীতে স্পষ্ট হওয়া জরুরি যে, এটি কার উদ্দেশ্যে রচিত।
আমার পাঠকেরা আমার লেখাকে কতটা আনুষ্ঠানিক ভাববে?
: যখন আপনি সংকোচন (যেমন: না) এবং কথ্য শব্দ বা বাক্যাংশ ব্যবহার করেন, তখন লেখাটি অনানুষ্ঠানিক, কথোপকথনের মতো শোনায়।
: ''টীকা: ছোট শব্দ ব্যবহারে লেখাটি অনানুষ্ঠানিক হয় না। বাস্তবে, অনেকেই সহজ ভাষা পছন্দ করেন যাতে জটিল ধারণাগুলো পড়তে সহজ হয়। বড় শব্দ পাঠকদের বিভ্রান্ত করতে পারে, বা লেখাটিকে ঔদ্ধত্যপূর্ণ শোনাতে পারে। এটি দীর্ঘ বাক্যের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক উভয় ধরনের লেখাতেই এগুলো এড়িয়ে চলা উচিত।''
: আনুষ্ঠানিক শৈলীতে সঠিক শব্দচয়ন, বাক্যগঠন, আনুষ্ঠানিক
বাক্যরীতি ও উপযুক্ত ভাষা ব্যবহার করা হয়। আপনার লেখার শৈলী নির্ধারণে সবসময় আপনার পাঠকের কথা বিবেচনায় রাখুন। আনুষ্ঠানিক ভাষা ব্যবহারের অনেক ক্ষেত্র রয়েছে যেমন বক্তৃতা, সেবা, শোকবার্তা এবং প্রবন্ধ। এই ধরনের লেখাগুলিতে শ্রোতার বয়স যতই হোক না কেন, আনুষ্ঠানিক ভাষা সব বয়সের জন্য উপযুক্ত হতে পারে। অনানুষ্ঠানিক ভাষার ব্যবহার যেমন বন্ধুকে চিঠি লেখা বা ডায়েরিতে লেখার ক্ষেত্রে উপযুক্ত। কখনও কখনও অনানুষ্ঠানিক লেখা আরও আন্তরিক মনে হতে পারে, কারণ এতে আবেগ স্পষ্ট হয়।
আমার পাঠকেরা আমার লেখাকে কতটা ব্যক্তিক বা নিরপেক্ষ মনে করবে?
: ব্যক্তিগত বা সাবজেকটিভ শৈলীতে আপনি “আমি” ব্যবহার করে নিজের মতামত দেন এবং নিজেকে লেখায় উপস্থাপন করেন। নিরপেক্ষ বা অবজেকটিভ শৈলীতে আপনি নিজের উপস্থিতিকে গোপন করেন, মতামতকে তথ্য হিসেবে উপস্থাপন করেন এবং নিজের কাজগুলো তৃতীয় পুরুষে বা নির্বিকারভাবে লিখুন। নিরপেক্ষ লেখা বেশি আনুষ্ঠানিক এবং পেশাদার ও কারিগরি লেখার ক্ষেত্রে এটি প্রত্যাশিত।
আমার পাঠকেরা আমার সাথে কতটা "দূরত্ব" প্রত্যাশা করে?
: ব্যক্তিগত শৈলীতে আপনি পাঠকের খুব কাছাকাছি থাকেন, কারণ আপনি ব্যক্তিগত সর্বনাম ব্যবহার করেন এবং পাঠকদের সরাসরি সম্বোধন করেন। লেখার কথোপকথনধর্মী ধরণও এই ঘনিষ্ঠতা বোঝাতে পারে। অন্যদিকে, অপারসোনাল বা নিঃসঙ্গ শৈলীতে আপনি ব্যক্তিগত সর্বনাম এড়িয়ে যান এবং নিজের ও পাঠকদের তৃতীয় পুরুষে উল্লেখ করেন, যাতে দূরত্ব সৃষ্টি হয়। আপনি কোন শৈলী ব্যবহার করবেন তা নির্ভর করে লেখার উদ্দেশ্য এবং শ্রোতার উপর।
::<u>পাঠকের শৈলীগত প্রত্যাশাকে প্রভাবিত করে এমন বিষয়সমূহ:</u>
::* পাঠকের সঙ্গে আপনার পেশাগত সম্পর্ক।
::* আপনার উদ্দেশ্য।
::* বিষয়বস্তু।
::* আপনার ব্যক্তিত্ব।
::* আপনার নিয়োগকর্তার প্রতিষ্ঠানের রীতিনীতি।
::* আপনার ক্ষেত্র, পেশা বা শাখার রীতিনীতি।
যদি প্রত্যাশিত শৈলী অকার্যকর হয়?
: ''টীকা: কখনও কখনও প্রত্যাশিত শৈলী অন্যান্য বিকল্প অপেক্ষা কম কার্যকর হতে পারে।''
: উদাহরণস্বরূপ, কিছু প্রতিষ্ঠানে প্রত্যাশিত শৈলী একটি বহুল নিন্দিত শৈলী—''ব্যুরোক্রেটিজ'' নামে পরিচিত। এই ধরনের লেখায় অপ্রয়োজনীয় শব্দ ব্যবহার করে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ঢেকে ফেলা হয়, দুর্বল ক্রিয়া ব্যবহারে কার্যকলাপ অস্পষ্ট হয়, এবং বিমূর্ত শব্দ ব্যবহারের ফলে লেখাটি বাস্তবতা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
: প্রায়ই এই শৈলীতে অতিরঞ্জিত শব্দভাণ্ডার এবং অহঙ্কারপূর্ণ গাম্ভীর্য থাকে, যা লেখকের বক্তব্য বোঝা কঠিন করে তোলে বা পুরোপুরি বাধাগ্রস্ত করে।
ব্যুরোক্রেটিজ: উৎপাদন প্রক্রিয়ায় সর্বোত্তম গুণগত মান নিয়ন্ত্রণের অনুশীলন অনুসারে, প্রতিটি উপাদানকে তার সরবরাহকারী বা উৎস থেকে পাওয়ার পর কিন্তু চূড়ান্ত সমাবেশের আগে আলাদাভাবে পরীক্ষা ও যাচাই করা গুরুত্বপূর্ণ।
সাধারণ ভাষা: কার্যকর গুণগত নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রতিটি উপাদান চূড়ান্ত সমাবেশের আগে আলাদাভাবে পরীক্ষা করতে হয়।
ব্যুরোক্রেটিজ: সর্বশেষ মাসিক সময়কালে, ধীর গতির পরিষেবা নিয়ে গ্রাহকদের করা অভিযোগের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
সাধারণ ভাষা: গত মাসে অনেক বেশি গ্রাহক ধীর পরিষেবা নিয়ে অভিযোগ করেছেন।
: ব্যুরোক্রেটিজ একটি এতটাই গুরুতর প্রতিবন্ধকতা যে যুক্তরাষ্ট্রের অনেক অঙ্গরাজ্যে সরকারি প্রকাশনা এবং অন্যান্য দলিল (যেমন বীমা নীতি)–এ সাধারণ ইংরেজি ব্যবহারের জন্য আইন পাস হয়েছে। এই নির্দেশিকাগুলো আপনাকে ব্যুরোক্রেটিজ এড়াতে সাহায্য করবে। তবে, কিছু ব্যবস্থাপক ও প্রতিষ্ঠান এখনো ভাবেন যে, এই ফুলানো শৈলী খুবই প্রভাবশালী শোনায়। যদি আপনাকে ব্যুরোক্রেটিজ লেখার অনুরোধ করা হয়, তাহলে আপনি কেন সহজবোধ্য শৈলী বেশি কার্যকর তা বোঝানোর চেষ্টা করুন। যদি বোঝাতে ব্যর্থ হন, তবে সতর্ক থাকুন। প্রয়োজনীয় শৈলী ব্যবহার করুন। এমনকি সাধারণভাবে ব্যুরোক্রেটিক শৈলীর মধ্যেও আপনি কিছু উন্নতি করতে পারেন। উদাহরণস্বরূপ, যদি আপনার নিয়োগকর্তা শব্দবহুল ও বিমূর্ত শৈলী প্রত্যাশা করেন, তবুও আপনি অপেক্ষাকৃত কম ফুলানো শব্দভাণ্ডার ব্যবহার করতে পারেন।
</div>
==='''নির্দেশিকা ২: আপনার ক্রিয়াপদে কর্মটি যুক্ত করুন'''===
অধিকাংশ বাক্যই কর্ম নিয়ে। বিক্রি বৃদ্ধি পায়, যন্ত্রপাতি বিকল হয়, প্রকৌশলীরা নকশা করেন, ব্যবস্থাপকরা অনুমোদন দেন। অথচ অনেকেই কর্মকে লুকিয়ে রাখেন বিশেষ্য, বিশেষণ এবং অন্যান্য পদের মাধ্যমে।
নিম্নের বাক্যটি বিবেচনা করুন: আমাদের বিভাগ দুই মাসের মধ্যে নতুন যন্ত্রপাতিতে রূপান্তর সম্পন্ন করেছে।
এই বাক্যটিকে আরও সক্রিয় করা যায় যদি "রূপান্তর" ক্রিয়াপদে ব্যবহার করা হয়: আমাদের বিভাগ দুই মাসের মধ্যে নতুন যন্ত্রপাতিতে রূপান্তরিত হয়েছে।
<u>বাক্যকে ক্রিয়ার উপর কেন্দ্রীভূত করা</u>
• ''হতে'' ক্রিয়া বা তার রূপ (''হয়, ছিল, হবে, ইত্যাদি'') ব্যবহার করা এড়িয়ে চলুন।
''হতে'' ক্রিয়া প্রায়শই বলে কিছু কী আছে, কিন্তু কী করে তা নয়।
'''মূল''': জীবাণুমুক্তকরণ প্রক্রিয়াটি পুনরায় সংক্রমণ থেকে <u>একটি সুরক্ষা</u>।
'''পরিবর্তিত''': জীবাণুমুক্তকরণ প্রক্রিয়াটি পুনরায় সংক্রমণ থেকে <u>সুরক্ষা প্রদান করে</u>।
• ''এটা'' বা''আছে'' দিয়ে শুরু হওয়া বাক্য এড়িয়ে চলুন।
'''মূল''': কাঁচামালের মূল্য ব্যাপকভাবে বেড়ে যাওয়ার কারণেই সমাপ্ত পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে।
'''পরিবর্তিত''': কাঁচামালের মূল্য বেড়ে যাওয়ায় সমাপ্ত পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে।
'''মূল''': বাঁধের শক্তি নিয়ে প্রকৌশলীদের প্রশ্ন তোলার পেছনে <u>কয়েকটি কারণ রয়েছে</u>।
'''পরিবর্তিত''': কয়েকটি কারণ প্রকৌশলীদের বাঁধের শক্তি নিয়ে প্রশ্ন তুলতে বাধ্য করছে।
• ''-tion, -ment, -ing, -ion, -ance'' ইত্যাদি প্রত্যয়যুক্ত শব্দে কর্মকে বিশেষ্য করে ফেললে তা এড়িয়ে চলুন।
'''মূল''': অতএব, আমি একটি <u>সুপারিশ</u> করতে চাই যে বিভাগটি অতিরিক্ত দুইজন প্রোগ্রামার নিয়োগ দিক।
'''পরিবর্তিত''': অতএব, আমি <u>সুপারিশ করছি</u> যে বিভাগটি অতিরিক্ত দুইজন প্রোগ্রামার নিয়োগ দিক।
যদিও বেশিরভাগ বাক্য কর্ম সম্পর্কিত, কিছু বাক্য নয়। উদাহরণস্বরূপ, বিষয় এবং পূর্বাভাসমূলক বাক্য প্রায়শই তালিকা উপস্থাপন বা আলোচনার গঠন ব্যাখ্যা করতে ব্যবহৃত হয়।
উদাহরণ: এই বাক্যে ''হতে'' উপযুক্ত—
কোম্পানির উচিত প্রধান দপ্তর এবং বাইরের অঙ্গরাজ্যের কারখানার মধ্যে যোগাযোগ উন্নয়নে বিনিয়োগ করার তিনটি প্রধান কারণ আছে।
==='''নির্দেশিকা ৩: সক্রিয় বাক্য ব্যবহার করুন যদি না নিষ্ক্রিয় বাক্য ব্যবহার করার সঙ্গত কারণ থাকে'''===
আপনার বাক্যকে কর্ম এবং কর্মকারীর উপর কেন্দ্রীভূত করার আরেকটি উপায় হলো ''সক্রিয় রচনারীতি'' ব্যবহার করা, নিষ্ক্রিয় রচনারীতি নয়। সক্রিয় বাক্য লেখার জন্য, কর্মকারী বা যিনি কাজটি করেন তাকে বিষয়বস্তু হিসেবে রাখুন। আপনার ক্রিয়াপদটি তখন সেই কর্মকারীর কাজকে প্রকাশ করবে।
'''সক্রিয় বাক্য''': পরামর্শদাতা এই পরিবর্তনগুলো সুপারিশ করেছেন।
নিষ্ক্রিয় রচনায়, বাক্যের বিষয় এবং কর্মকারী আলাদা। বিষয়টি কোনো কাজের দ্বারা প্রভাবিত হয়।
'''নিষ্ক্রিয় বাক্য''': এই পরিবর্তনগুলো পরামর্শদাতার দ্বারা সুপারিশকৃত হয়েছিল।
'''নিষ্ক্রিয় বাক্য''': কোরীয় আকরিক আমাদের দ্বারা ক্রয় করা হয়েছিল।
'''অ্যাকটিভ বাক্য''': আমরা কোরীয় আকরিক ক্রয় করেছি।
গবেষণায় দেখা গেছে, পাঠকেরা সক্রিয় বাক্য দ্রুত বুঝতে পারেন। সক্রিয় রচনায় অস্পষ্টতা ও দ্ব্যর্থতা কম থাকে, যা নিষ্ক্রিয় রচনায় বেশি দেখা যায়। উদাহরণস্বরূপ, বলটি মারা হয়েছিল ব্যাকরণগতভাবে সঠিক হলেও, কে বলটি মারল তা বলা হয়নি। কিন্তু সক্রিয় রচনায় লেখক এটি পরিষ্কার করেন: লিন্ডা বলটি মারল।
যদিও নিষ্ক্রিয় রচনায় পাঠযোগ্যতা কমে, কিছু ক্ষেত্রে এর ব্যবহার উপযোগী। যেমন, আপনি যদি কর্মকারীর নাম গোপন রাখতে চান তবে এটি কার্যকর হতে পারে। তবে সতর্ক থাকতে হবে, যাতে নিষ্ক্রিয় রচনায় কারো পরিচয় ইচ্ছাকৃতভাবে আড়াল করে নৈতিকভাবে ভুল কাজ না করা হয়, বিশেষ করে যখন কোনো দায়িত্ব এড়াতে তা ব্যবহার করা হয়।
===''নির্দেশনা ৪: সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি জোর দিন''===
পরিষ্কার, জোরালো বাক্য লেখার আরেকটি উপায় হলো আপনার পাঠকদের মনোযোগ আপনার বার্তার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যটির দিকে পরিচালিত করা।
<u>সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি জোর দেওয়ার কৌশল</u>
১. গুরুত্বপূর্ণ তথ্যটি বাক্যের শেষে রাখুন
বাক্যের শেষে মূল তথ্য রাখার জন্য কখনও কখনও খসড়া নতুনভাবে সাজাতে হতে পারে।
'''মূল''': বিভাগের কার্যকারিতা সব ক্ষেত্রেই চমৎকার হয়েছে।
'''পরিমার্জিত''': সব ক্ষেত্রেই, বিভাগের কার্যকারিতা চমৎকার হয়েছে।
'''মূল''': <u>উজ্জ্বল বাহ্যিক নকশা</u> হলো কলেজ-বয়সী ক্রেতাদের কাছে পণ্যের সবচেয়ে আকর্ষণীয় বৈশিষ্ট্যগুলোর একটি।
'''পরিমার্জিত''': কলেজ-বয়সী ক্রেতাদের কাছে পণ্যের সবচেয়ে আকর্ষণীয় বৈশিষ্ট্যগুলোর একটি হলো এর <u>উজ্জ্বল বাহ্যিক নকশা।</u>
২. মূল তথ্যটি প্রধান উপবাক্যে রাখুন
যদি আপনার বাক্যে একাধিক উপবাক্য থাকে, তাহলে যেটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তা প্রধান উপবাক্যে রাখুন।
উদাহরণ তুলনা করুন:
যদিও আমাদের উৎপাদনশীলতা কমেছে, আমাদের লাভ বেড়েছে।
যদিও আমাদের লাভ বেড়েছে, আমাদের উৎপাদনশীলতা কমেছে।
প্রথম বাক্যে প্রধান উপবাক্যে ''লাভ'' বিষয়বস্তু হওয়ায় জোর পড়েছে লাভের ওপর। দ্বিতীয় বাক্যে জোর পড়েছে উৎপাদনশীলতার ওপর, কারণ সেটি প্রধান উপবাক্যের বিষয়বস্তু।
৪. টাইপোগ্রাফি ব্যবহার করে জোর দিন
বোল্ড ও ইটালিক ব্যবহার করুন। তবে সচেতন থাকুন যেন অতিরিক্তভাবে ব্যবহার না হয়। অনেক কিছু একসাথে জোর দিলে কিছুই আলাদা করে নজরে পড়ে না।
৪. পাঠককে সরাসরি বলে দিন কোন তথ্যটি গুরুত্বপূর্ণ
মূল তথ্যের তাৎপর্য পাঠককে সরাসরি জানানোও এক ধরনের জোর দেওয়া।
উদাহরণ: অর্থনীতিবিদেরা শেয়ারবাজারে পতনের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ চিহ্নিত করেছেন: গত মাসের নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে অনিশ্চয়তা, টেকসই পণ্যের মজুদ বৃদ্ধি এবং—সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ—মূল্যস্ফীতির লক্ষণ।
৫. অপ্রয়োজনীয় কথাবার্তা পরিহার করুন
অপ্রয়োজনীয় শব্দ বা তথ্য ব্যবসায়িক লেখায় বিশেষভাবে পরিহারযোগ্য। ব্যবসায়িক জগতে সময় মানেই টাকা। আপনার মনিব বা মক্কেল যদি আপনার অতিরিক্ত শব্দে ভরা ইমেইল পড়তে সময় নষ্ট করেন, তাহলে সেটি অপ্রয়োজনীয় ব্যয়। লেখার পর আবার পড়ে দেখুন কোনটি সহজবোধ্য বা সুস্পষ্টভাবে বোঝানো হয়েছে কি না।
উদাহরণ: ঘড়ির কাঁটায় দেখা গেল যে সে তার কাজে পৌঁছাতে দেরি করেছে, যেখানে সে কাজ শুরু করবে।
এটি স্পষ্ট যে সময় ঘড়ির কাঁটায় দেখায় এবং কাজের জায়গায় মানুষ সাধারণত কাজই করে। এই রূঢ় উদাহরণটি দেখায় যে লেখার দৈর্ঘ্য মান বাড়ানোর গ্যারান্টি নয়। বেশিরভাগ ব্যবসায়িক পরিস্থিতিতে সংক্ষিপ্ত ও সহজবোধ্য লেখা বেশি কার্যকর।
===''নির্দেশনা ৫: বাক্যের দৈর্ঘ্য ও গঠন বৈচিত্র্যময় করুন''===
একই রকম গঠনের সব বাক্য ব্যবহার করলে দুটি সমস্যা দেখা দেয়। একঘেয়েমি আসে এবং (সব বাক্য একই রকম হওয়ায়) গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ও কম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আলাদা করে জোর দেওয়া যায় না।
এই সমস্যা এড়াতে দুটি উপায় আছে:
• বাক্যের দৈর্ঘ্যে বৈচিত্র্য আনুন।
– দীর্ঘ বাক্য বিভিন্ন ধারণার মধ্যে সম্পর্ক দেখাতে ব্যবহার করা যায়। সংক্ষিপ্ত বাক্যগুলোর মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ অংশে জোর দেওয়া যায়।
• বাক্য গঠনে বৈচিত্র্য আনুন।
– উদাহরণস্বরূপ, বাক্যের ব্যাকরণগত বিষয়বস্তু সব সময় প্রথম শব্দ হতে হবে না। যদি তা হতো, তাহলে ইংরেজি ভাষা অনেকটা তার গুরুত্ব দেওয়ার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলত। একটি বিকল্প হলো যুক্তিবদ্ধ সম্পর্ক বোঝাতে উপবাক্য দিয়ে বাক্য শুরু করা।
'''প্রারম্ভিক উপবাক্য''': <u>আমাদের জরিপ সম্পন্ন করার পর</u>, আমরা নিশ্চিতভাবে জানব প্রস্তাবিত নতুন কারখানার স্থানটি এক সময় আদিবাসীদের ক্যাম্পিং এলাকা ছিল কি না।
'''প্রারম্ভিক উপবাক্য''': <u>আমরা সব বিকল্প ভালোভাবে পর্যালোচনা করায়</u>, আমরা আত্মবিশ্বাসী যে একটি নিউম্যাটিক ড্রাইভই সবচেয়ে ভালো কাজ করবে এবং নির্ভরযোগ্য সেবা দেবে।
===''নির্দেশনা ৬: সার্বিক নির্দেশনা: আপনার পাঠক যদি আপনার ভাষায় দক্ষ না হয়, তাহলেতাদের সুবিধার্থে বাক্যগঠনে পরিবর্তন আনুন''===
আপনার বাক্যের গঠন পাঠকদের (যারা ইংরেজিতে দক্ষ নয়) বোঝার সুবিধা-অসুবিধাকে প্রভাবিত করতে পারে। তেল ও কম্পিউটার শিল্পসহ অনেক খাতে কোম্পানিগুলো বিদেশি পাঠকদের জন্য সরল ইংরেজি রচনার নিয়ম তৈরি করেছে। এই ধরনের ভাষার একটি সীমিত শব্দভাণ্ডার থাকে এবং এটি এমন ব্যাকরণগত নিয়ম অনুসরণ করে যা পাঠকদের বোঝা সহজ করে।
সব পাঠকের জন্য এতটা সরলীকরণ প্রয়োজন নাও হতে পারে। তাই আপনার নির্দিষ্ট পাঠকদের সম্পর্কে যতটা সম্ভব জানার চেষ্টা করুন। মনে রাখবেন, বাক্যের গঠন সরল করার অর্থ এই নয় যে চিন্তাধারাটিকেও সরলীকরণ করতে হবে।
<u>যারা ইংরেজিতে দক্ষ নয় এমন পাঠকদের জন্য বাক্য লেখার নির্দেশনা</u>
• সহজ বাক্যগঠন ব্যবহার করুন। – যত বেশি জটিল হবে, পাঠকদের বোঝা তত কঠিন হবে।
• বাক্য সংক্ষিপ্ত রাখুন। – দীর্ঘ বাক্য, গঠন সহজ হলেও, বোঝা কঠিন হতে পারে। ২০ শব্দের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার চেষ্টা করুন।
• সক্রিয় বাক্য ব্যবহার করুন। – ইংরেজিতে দক্ষ নয় এমন পাঠকেরা পরোক্ষ বাক্যের তুলনায় সক্রিয় বাক্য অনেক সহজে বোঝে।
==শব্দ বাছাই==
শব্দ বাছাইয়ের সময়, আপনার প্রথম লক্ষ্য হওয়া উচিত পাঠকেরা যেন দ্রুত ও সঠিকভাবে আপনার বক্তব্য বুঝতে পারে। একইসঙ্গে, মনে রাখবেন, আপনার শব্দের পছন্দ পাঠকের ওপর আপনার এবং আপনার বিষয়ে মনোভাবও প্রভাবিত করে। তাই এমন শব্দ ব্যবহার করুন যা আপনার যোগাযোগকে আরও প্রভাবশালী করে তোলে। শব্দের ব্যবহার আপনার লিখনশৈলী কেমন বোঝা যায়, কতটা আনুষ্ঠানিক বা অনানুষ্ঠানিক, তাও নির্ধারণ করতে পারে।
==='''নির্দেশিকা ১: আপনার বাক্যগুলো সরল করুন'''===
ব্যবহারযোগ্যতা বাড়ানোর সবচেয়ে সহজ উপায় হল আপনার বাক্যগুলো সরল করা। পড়া একটি '''কঠিন কাজ'''। মনোবিজ্ঞানীরা বলেন, এই কাজের অনেকটাই সাময়িক স্মৃতি করে থাকে। এটি প্রতিটি বাক্যের শব্দগুলো কীভাবে একটি নির্দিষ্ট অর্থ তৈরি করে তা বুঝতে চেষ্টা করে। কম শব্দ মানে কম পরিশ্রম। এছাড়াও, গবেষণায় দেখা গেছে যে যখন '''আমরা''' আমাদের বার্তাটি সংক্ষিপ্তভাবে প্রকাশ করি, তখন '''আমরা''' এটিকে আরও শক্তিশালী, স্মরণযোগ্য এবং প্রভাবশালী করে তুলি।
<u>বাক্য সরল করার কৌশল</u>
১. অপ্রয়োজনীয় শব্দ বাদ দিন।
সরাসরি অর্থ প্রকাশ করতে পারেন এমন অংশগুলো খুঁজুন।
'''উদাহরণ''': কাজের ঘরের <u>শারীরিক আকার</u> এতটাই ছোট যে এই যন্ত্রপাতি <u>স্থাপন করা সম্ভব নয়</u>।
অপ্রয়োজনীয় শব্দ বাদ দিয়ে, বাক্যটি আগের মতোই স্পষ্ট এবং আরও জোরালো: কাজের ঘরটি এই যন্ত্রপাতির জন্য খুব ছোট।
২. বিশেষণ বা বিশেষ্য বিশেষনের অবস্থান ঠিক রাখুন।
সাময়িক স্মৃতি অর্থ বোঝাতে শব্দের ক্রমের উপর নির্ভর করে। সম্পর্কযুক্ত শব্দগুলো একত্রে না রাখলে বাক্যটি আপনার আসল অর্থের চেয়ে ভিন্ন কিছু বোঝাতে পারে।
'''বিচ্ছিন্ন''': ফাইল ক্যাবিনেটে একটি বড় সংখ্যক জমা না দেওয়া চেক পাওয়া গেছে, যেগুলোর মূল্য ছিল ৪১,০০০ ডলারের বেশি।
'''সুসংগঠিত''': ৪১,০০০ ডলারের বেশি মূল্যের একটি বড় সংখ্যক জমা না দেওয়া চেক ফাইল ক্যাবিনেটে পাওয়া গেছে।
৩. ছোট ছোট বাক্য একত্র করুন।
প্রায়শই, দুটি বা ততোধিক ছোট বাক্য একত্র করলে পড়া সহজ হয়, কারণ এতে মোট শব্দের সংখ্যা কমে যায় এবং পাঠক বিষয়বস্তুর মধ্যকার সম্পর্ক সহজে বুঝতে পারে।
'''আলাদা''': মার্চ মাসে হক নদীর পানি মানের অবনতি ঘটে। এই অবনতি ঘটেছিল মাসের ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে। অতিরিক্ত পানি টমলিন কাউন্টির পানি পরিশোধন প্ল্যান্টকে অতিভার করে তোলে।
'''সুসংগঠিত''': মার্চ মাসে ভারী বৃষ্টির কারণে টমলিন কাউন্টির পানি পরিশোধন প্ল্যান্ট অতিভার হয়ে পড়ায় হক নদীর পানির মানের অবনতি ঘটে।
==='''নির্দেশিকা ২: ক্রিয়া পদে কর্ম প্রকাশ করুন'''===
বেশিরভাগ বাক্যই কোনো না কোনো কর্মের উপর ভিত্তি করে গঠিত হয়। বিক্রি বৃদ্ধি পায়, যন্ত্রপাতি বিকল হয়, প্রকৌশলীরা নকশা করেন, ব্যবস্থাপক অনুমোদন দেন। কিন্তু অনেকেই এই ক্রিয়াকে বিশেষ্য, বিশেষণ এবং অন্যান্য পদে লুকিয়ে ফেলেন।
উদাহরণস্বরূপ: আমাদের বিভাগ দুই মাসে নতুন যন্ত্রপাতিতে রূপান্তর সম্পন্ন করেছে।
এই বাক্যটিকে আরও কার্যকর করা যায় যদি "রূপান্তর"কে সরাসরি ক্রিয়ায় রূপান্তর করা হয়: আমাদের বিভাগ দুই মাসে নতুন যন্ত্রপাতিতে রূপান্তরিত হয়েছে।
<u>বাক্যে কর্মকে কেন্দ্রে রাখার কৌশল</u>
• ''হতে'' ক্রিয়া এবং এর রূপ (''হয়, ছিল, হবে, ইত্যাদি'') পরিহার করুন।
''হতে'' ক্রিয়া সাধারণত বলে কিছু কী, কিন্তু তা কী করে না।
'''মূল বাক্য''': জীবাণুমুক্তকরণ প্রক্রিয়াটি পুনঃসংক্রমণের বিরুদ্ধে <u>একটি সুরক্ষা</u>।
'''পরিবর্তিত''': জীবাণুমুক্তকরণ প্রক্রিয়াটি পুনঃসংক্রমণের বিরুদ্ধে <u>সুরক্ষা দেয়</u>।
• ''এটা'' বা''আছে'' দিয়ে শুরু হওয়া বাক্য পরিহার করুন।
'''মূল বাক্য''':<u>এটা</u> কারণ কাঁচামালের খরচ বেড়েছে যে সমাপ্ত পণ্যের দাম বাড়ছে।
'''পরিবর্তিত''': কাঁচামালের মূল্য বেড়ে যাওয়ায় প্রস্তুত পণ্যের দাম বাড়ছে।
'''মূল বাক্য''': <u>আছে</u>: বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে যা প্রকৌশলীদের বাঁধের শক্তি নিয়ে প্রশ্ন তোলে.
'''পরিবর্তিত''': কয়েকটি কারণ প্রকৌশলীদের বাঁধের শক্তি নিয়ে প্রশ্ন তুলতে বাধ্য করছে।
• যেসব শব্দের শেষে ''-tion, -ment, -ing, -ion, -ance'' থাকে, সেগুলোতে ক্রিয়া আটকে যায়—এই ধরনের গঠনের ব্যবহার এড়িয়ে চলুন। এরা কাজের ভাবটি বিশেষ্যে রূপান্তর করে।
'''মূল বাক্য''': তাই আমি একটি <u>প্রস্তাবনা</u> দিতে চাই যে বিভাগটি দুইজন অতিরিক্ত প্রোগ্রামার নিয়োগ দিক।
'''পরিবর্তিত''': তাই আমি <u>প্রস্তাব করছি</u>, বিভাগটি দুইজন অতিরিক্ত প্রোগ্রামার নিয়োগ দিক।
যদিও বেশিরভাগ বাক্যই কোনো কর্ম প্রকাশ করে, কিছু বাক্য কর্ম-ভিত্তিক নয়। উদাহরণস্বরূপ, কোনো বিষয়ের সারাংশ বা পূর্বাভাসমূলক বাক্য প্রায়ই তালিকা শুরু করে বা আলোচনার গঠন বোঝাতে ব্যবহৃত হয়।
যেমন একটি যথার্থ ''হতে'' ব্যবহার: কোম্পানিকে কেন কর্পোরেট সদর দপ্তর এবং বাইরের রাজ্যের কারখানাগুলোর মধ্যে যোগাযোগ উন্নত করতে বিনিয়োগ করা উচিত, তার তিনটি প্রধান কারণ <u>আছে</u>।
==='''নির্দেশিকা ৩: সক্রিয় বাক্য ব্যবহার করুন, যদি না নিষ্ক্রিয় বাক্য ব্যবহারের ভাল কারণ থাকে'''===
আপনার বাক্যে কর্ম এবং কর্মীকে স্পষ্ট করতে আরেকটি পদ্ধতি হল ''সক্রিয় বাক্য'' ব্যবহার করা, প্যাসিভ বাক্যের পরিবর্তে। সক্রিয় বাক্যে, কর্মী — অর্থাৎ যিনি বা যা কর্মটি করছে — বাক্যের বিষয় হিসেবে থাকে। এরপর ক্রিয়া ওই কর্মীর কর্মকে বর্ণনা করে।
'''সক্রিয় বাক্য''': পরামর্শদাতা এই পরিবর্তনগুলি সুপারিশ করেছেন।
সক্রিয় বাক্যে, বাক্যের বিষয় এবং কর্তা আলাদা হয়। বিষয়ের উপর কর্তা কর্তৃক কাজ করা হয়।
'''নিষ্ক্রিয় বাক্য''': পরিবর্তনগুলি পরামর্শদাতার দ্বারা সুপারিশ করা হয়েছিল।
'''নিষ্ক্রিয় বাক্য''': কোরিয়ান খনিজ ক্রয় করা হয়েছে।
'''সক্রিয় বাক্য''': আমরা কোরিয়ান খনিজ ক্রয় করেছি।
গবেষণায় দেখা গেছে, পাঠক নিষ্ক্রিয় বাক্যের তুলনায় নিষ্ক্রিয় বাক্য দ্রুত বুঝতে পারেন। এছাড়াও, সক্রিয় বাক্য অস্পষ্টতা ও দ্ব্যর্থতা দূর করে, যা প্রায়ই নিষ্ক্রিত বাক্যে থাকে। উদাহরণস্বরূপ, "বলটি আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে" একটি ব্যাকরণগতভাবে সঠিক নিষ্ক্রিয় বাক্য, কিন্তু বলটি কে বা কী আঘাত করেছে তা জানায় না। সক্রিয় বাক্যে লেখক স্পষ্টভাবে কর্মীকে চিহ্নিত করেন: "লিন্ডা বলে আঘাত করলো।"
যদিও নিষ্ক্রিয় বাক্য সাধারণত পড়া কঠিন করে, তবে এর কিছু ভালো ব্যবহারও আছে। যেমন, যখন আপনি কর্মীকে উল্লেখ করতে চান না তখন সক্রিয় বাক্য কার্যকর হয়। যদি লেখক সিদ্ধান্ত নেন যে, রিপোর্টটি যে করেছে তার নাম না বলে তথ্যটি পাঠকের কাছে পৌঁছে দেওয়া নৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য, তখন তিনি নিষ্ক্রিয় বাক্য সঠিকভাবে ব্যবহার করেছেন। আবার, নৈতিকতার পরিপন্থী হলে প্যাসিভ বাক্য ব্যবহার করে কর্মীর দায় এড়ানো উচিত নয় — যেমন যখন কোনো প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব এড়াতে চেষ্টা করা হয়।
==='''নির্দেশিকা ৪: সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টিকে গুরুত্ব দিন'''===
পরিষ্কার এবং শক্তিশালী বাক্য লেখার আরেকটি উপায় হল পাঠকের মনোযোগ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের দিকে কেন্দ্রীভূত করা।
<u>গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের উপর জোর দেওয়া</u>
১. বাক্যের শেষে প্রধান তথ্য রাখুন
প্রধান তথ্য বাক্যের শেষে রাখতে চাইলে প্রাথমিক খসড়া কিছুটা পুনর্বিন্যাস করতে হতে পারে।
'''মূল বাক্য''': বিভাগের কর্মক্ষমতা সব ক্ষেত্রে চমৎকার হয়েছে।
'''সংশোধিত বাক্য''': সব ক্ষেত্রে, বিভাগের কর্মক্ষমতা চমৎকার হয়েছে।
'''মূল বাক্য''': উজ্জ্বল বাইরের নকশা কলেজবয়সী গ্রাহকদের কাছে পণ্যের সবচেয়ে আকর্ষণীয় বৈশিষ্ট্যগুলোর একটি।
'''সংশোধিত বাক্য''': কলেজবয়সী গ্রাহকদের কাছে পণ্যের সবচেয়ে আকর্ষণীয় বৈশিষ্ট্যগুলোর একটি হল উজ্জ্বল বাইরের নকশা।
২. প্রধান বাক্যে প্রধান তথ্য রাখুন
যদি বাক্যে একাধিক বাক্যাংশ থাকে, তবে প্রধান তথ্য প্রধান বাক্যাংশে রাখুন। নিচের দুইটি বাক্যের তুলনা করুন:
আমাদের উৎপাদনশীলতা কমেছিল, তবে লাভ বৃদ্ধি পেয়েছে।
লাভ বৃদ্ধি পেয়েছে, তবে আমাদের উৎপাদনশীলতা কমেছিল।
প্রথম বাক্যে জোর দেয়া হয়েছে লাভের উপর কারণ ‘লাভ’ প্রধান বাক্যের বিষয়। দ্বিতীয় বাক্যে ‘উৎপাদনশীলতা’ প্রধান বিষয় হওয়ায় তা বেশি গুরুত্ব পায়। (মনোযোগ দিন, গুরুত্বপ্রাপ্ত তথ্যটি প্রধান বাক্যাংশে এবং বাক্যের শেষে থাকে।)
৩. টাইপোগ্রাফিক্যালি গুরুত্বপূর্ণ তথ্যকে হাইলাইট করুন
বোল্ড এবং ইটালিক ব্যবহার করুন। তবে, অতিরিক্ত হাইলাইটিং এড়িয়ে চলুন। অনেক কিছু হাইলাইট করলে কোনো কিছুই আলাদা করে চোখে পড়ে না।
৪. পাঠককে স্পষ্টভাবে জানান কোন তথ্যটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ
আপনি পাঠকদের জানিয়ে দিতে পারেন কোন তথ্যটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
উদাহরণ: অর্থনীতিবিদরা স্টক মার্কেটের পতনের তিনটি প্রধান কারণ উল্লেখ করেছেন: গত মাসের নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে অনিশ্চয়তা, টেকসই পণ্যের ইনভেন্টরির বৃদ্ধি, এবং—সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ—মুদ্রাস্ফীতির লক্ষণ।
৫. অবাঞ্ছিত বাক্যাংশ এড়িয়ে চলুন
অধিকাংশ লেখায় এটি সত্য হলেও, ব্যবসায়িক লেখায় এটি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। ব্যবসায় সময় অর্থ। যদি আপনার বস বা ক্লায়েন্টরা আপনার অবাঞ্ছিত বাক্যে ভর্তি ইমেইল পড়তে সময় নষ্ট করে, তাহলে সেটি সময়ের অপচয়।
উদাহরণ: ঘড়ির মুখে সময় দেখাচ্ছিল যে সে তার কাজে দেরিতে পৌঁছেছে, যেখানে সে কাজ শুরু করবে।
ঘড়িতে অবশ্যই সময় থাকে এবং কাজের জায়গায় ছাড়া আর কি করা হয়? এটি একটি সরল উদাহরণ, কিন্তু এটি দেখায় যে একটি নথির দৈর্ঘ্য তার গুণগত মান বাড়ায় না। অধিকাংশ ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে, সংক্ষিপ্ত ও সরল নথি শব্দবহুল, দীর্ঘ নথির তুলনায় ভাল কাজ করে।
==='''নির্দেশিকা ৫: উপযুক্ত সম্বন্ধ বা অনুভূতির সঙ্গে শব্দ নির্বাচন করুন'''===
গত তিনটি নির্দেশিকা ছিল শব্দের শাব্দিক বা অভিধানগত অর্থ সম্পর্কে। কাজের ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই ভাবতে হবে আপনার শব্দগুলোর পাঠকের সঙ্গে কোন ধরনের সম্বন্ধ বা অনুভূতি জড়িত আছে কিনা। বিশেষ করে, শব্দের ''অনুভূতি'' এবং ''নিবন্ধন'' সম্পর্কে বিশেষ যত্নবান হোন।
<u> (অনুভূতি বা ইঙ্গিত)</u>
অনুভূতি হলো কোনো শব্দের শাব্দিক অর্থের বাইরে থাকা প্রস্তাবিত বা বিস্তৃত অর্থ। উদাহরণস্বরূপ, অভিধান অনুযায়ী ''ফ্ল্যাটফুট'' এবং ''পুলিশ গোয়েন্দা'' সমার্থক হলেও, তারা বিভিন্ন অনুভূতি তৈরি করে: ''ফ্ল্যাটফুট'' এমন এক ধরনের পুলিশকে বোঝায় যে ধীর, হয়তো তেমন বুদ্ধিমান নয়, যেখানে ''পুলিশ গোয়েন্দা'' বোঝায় প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত পেশাদারকে।
ক্রিয়াপদগুলোরও অনুভূতি থাকে। যেমন, কারো ভুল তথ্য না দেখার কথা ''পরামর্শ দেওয়া'' করা এবং ''ইঙ্গিত করা'' করা একই নয়। কোনো ক্লায়েন্টের প্রকল্পে সময় ''উৎসর্গ করা'' করা এবং ''অবসর'' করা একই নয়।
আপনার শব্দের অনুভূতি আপনার বিষয়বস্তুর প্রতি শ্রোতাদের ধারণা গঠনে বড় ভূমিকা রাখে।
'''প্রথম সংস্করণ''': আমাদের বিক্রয় দল বিভিন্ন পণ্যের নতুন বাজার খুঁজতে ক্রমাগত চেষ্টা করছে।
'''দ্বিতীয় সংস্করণ''': আমাদের বিক্রয় দল বিভিন্ন পণ্যের নতুন বাজার খুঁজতে ক্রমাগত চালিত হচ্ছে।
গবেষণায় দেখা গেছে, নমনীয় শব্দ ''চেষ্টা'' ব্যবহারে পাঠকরা মনে করেন কোম্পানি কর্মচারীদের মঙ্গল ও উদ্বেগের প্রতি সচেতন, নারী ও সংখ্যালঘুদের জন্য ইতিবাচক কর্মসূচিতে স্বেচ্ছায় অংশ নেয়, কম শ্রমশিকायत পায় এবং কর্মচারীদের ভালো পারিশ্রমিক দেয়। আর কঠোর শব্দ ''ড্রাইভিং'' ব্যবহারে এই মতামত উল্টো হয়। মাত্র সাতটি শব্দের পার্থক্যে পাঠকদের দৃষ্টিভঙ্গি এতটা বদলায়—এটাই দেখায় শব্দের অনুভূতি কতটা গুরুত্বপূর্ণ।
<u>নিবন্ধন(ব্যবহারের প্রসঙ্গ)</u>
নিবন্ধন বলতে বোঝায় শব্দের নির্দিষ্ট ধরনের যোগাযোগ পরিস্থিতি বা প্রসঙ্গে ব্যবহারের সাথে সংযুক্ত ভাব। উদাহরণস্বরূপ, কোনো রেস্তোরাঁর বিজ্ঞাপনে ''আশ্চর্যজনকভাবে '' সুস্বাদু খাবারের কথা আশা করা যায়। কিন্তু গবেষণার প্রস্তাবে কোনো সংস্থার জন্য বলা হবে যে তারা ''আশ্চর্যজনকভাবে '' ভালো গবেষণা করতে পারে, তা আমরা আশা করব না। ''আশ্চর্যজনকভাবে '' শব্দটি ভোক্তা বিজ্ঞাপনের নিবন্ধন-এ পড়ে, গবেষণা প্রস্তাবের নয়।
যদি ভুল নিবন্ধন-এর শব্দ ব্যবহার করেন, পাঠক ভাবতে পারেন আপনি আপনার ক্ষেত্রে ব্যবসা পরিচালনার পদ্ধতি বুঝেন না, আর এতে আপনার বিশ্বাসযোগ্যতা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
==='''নির্দেশিকা ৬: পাঠকের সাংস্কৃতিক পটভূমি মাথায় রেখে শব্দ নির্বাচন করুন'''===
অন্যান্য সংস্কৃতির পাঠকদের জন্য লিখলে বিশেষ যত্ন নিন। আপনার নিজের সংস্কৃতিতে স্পষ্ট শব্দ অন্য সংস্কৃতির পাঠকের কাছে ভুল বোঝাবুঝি বা বিভ্রান্তিকর হতে পারে। এমনকি ইংরেজি ভাষাভাষী অন্যান্য সংস্কৃতির পাঠকের ক্ষেত্রে ও এ সমস্যা হতে পারে। যেমন, যুক্তরাষ্ট্রে ফুটবল মানে একটি আন্ডাকারাকৃতির বল নিয়ে গোল করার খেলা, আর ইংল্যান্ড, ভারত ও অনেক স্থানে ফুটবল মানে গোল নেটের মধ্যে গোল করার জন্য গোলাকার বল নিয়ে খেলা।
পাঠকের ভাষাগত দক্ষতা ভিন্ন, তাই নির্দেশিকাগুলো প্রয়োগ করুন যতটুকু তাদের জন্য প্রয়োজন।
'''আন্তঃসাংস্কৃতিক যোগাযোগের জন্য শব্দ বাছাইয়ের নির্দেশিকা:'''
১) সহজ শব্দ ব্যবহার করুন। যত বেশি জটিল শব্দ ব্যবহার করবেন, ইংরেজিতে অপ্রভৃত পাঠকের জন্য বোঝা কঠিন হবে।
২) একই বস্তু বা বিষয়ের জন্য একই শব্দ ব্যবহার করুন। উদাহরণস্বরূপ, কোনো যন্ত্রাংশের জন্য একবার “ডায়াল” আরেকবার “কন্টোল” বলবেন না, কারণ অনুবাদে ভিন্ন শব্দ হতে পারে।
৩) পাঠক না-জানার মতো সংক্ষিপ্ত শব্দ এড়িয়ে চলুন। যেমন AI (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা), ACL (পূর্ববর্তী ক্রুসিয়েট লিগামেন্ট)।
৪) বাগধারা ও সালসলুকি ব্যবহার এড়িয়ে চলুন। যেমন, "আমরা একটি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড চাই" বলার বদলে "আমরা চাই সিদ্ধান্তটা মোটামুটি করা হোক" বলুন।
সবচেয়ে ভালো ফলাফলের জন্য যেকোনো সংস্কৃতিতে অভিজ্ঞ কারো সাহায্য নিন আপনার শব্দ বাছাই পর্যালোচনার জন্য।
==='''নির্দেশিকা ৭: নৈতিক নির্দেশিকা: অন্তর্ভুক্তিমূলক ভাষা ব্যবহার করুন'''===
আপনার কণ্ঠস্বর গঠন করার সময় এমন ভাষা ব্যবহার করুন যা সবাইকে অন্তর্ভুক্ত করে, কারো বঞ্চনা না করে। যেমন, লিঙ্গভিত্তিক বা পক্ষপাতপূর্ণ ভাষা এড়িয়ে চলুন কারণ তা নেতিবাচক রূপরেখা সমর্থন করে। এটি নারীদের ক্ষেত্রে বেশি হলেও, পুরুষদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য, যেমন নার্সিং পেশায়।
নেতিবাচক রূপরেখা সমর্থনকারী ভাষা পাঠকদের সক্ষম মানুষের ক্ষমতা ও সাফল্যের প্রতি অন্ধ করে দিতে পারে। অক্ষমতা, অসুস্থতা বা অন্যান্য সীমাবদ্ধতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের সংবেদনশীল বর্ণনাও এড়াতে হবে।
'''অন্তর্ভুক্তিমূলক ভাষার ব্যবহার'''
১) লিঙ্গনিরপেক্ষ বিশেষ্য ও সর্বনাম ব্যবহার করুন, “man” শব্দযুক্ত শব্দের পরিবর্তে।
'''বদলে ব্যবহার করুন''': businessman, workman, mailman, salesman
'''ব্যবহার করুন''': businessperson, worker, mail carrier, sales person
'''বদলে ব্যবহার করুন''': man made, man hours, man-sized job
'''ব্যবহার করুন''': synthetic, working hours, large job
২) সাধারণ মানুষের জন্য লিঙ্গভিত্তিক সর্বনাম এড়িয়ে plural pronouns বা he or she ব্যবহার করুন।
'''বদলে বলুন''': "Our home electronics cater to the affluent shopper. She looks for premium products and appreciates a stylish design."
'''ব্যবহার করুন''': "Our home electronics cater to the affluent shopper. They look for premium products and appreciate a stylish design."
'''বদলে বলুন''': "Before the owner of a new business files the first year's tax returns, he might be wise to seek advice from a certified public accountant."
'''ব্যবহার করুন''': "Before the owner of a new business files the first year's tax returns, he or she might be wise to seek advice from a certified public accountant."
৩) পুরুষ ও নারীদের সমান মাত্রায় উল্লেখ করুন।
'''বদলে বলুন''': "Mr. Sundquist and Anna represented us at the trade fair."
'''ব্যবহার করুন''': "Mr. Sundquist and Ms. Tokagawa represented us at the trade fair" অথবা "Christopher and Anna represented us at the trade fair."
৪) পত্রের শুভেচ্ছা শুরুতে লিঙ্গভিত্তিক সম্বোধন এড়ান।
'''বদলে বলুন''': Dear Sir, Gentlemen
'''ব্যবহার করুন''': সংশ্লিষ্ট বিভাগের নাম, কোম্পানির নাম বা ব্যক্তির পদবী ব্যবহার করুন: Dear Personnel Department, Dear Switzer Plastics Corporation, Dear Director of Research
৫) প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের বর্ণনায় প্রথমে ব্যক্তির কথা উল্লেখ করুন, তারপর প্রতিবন্ধকতার কথা।
'''বদলে বলুন''': the disabled, mentally retarded people
'''ব্যবহার করুন''': people with disabilities, people with mental retardation
== “মিস," "মিসেস," এবং "মিসেস” সম্পর্কে ==
অনেকেই নিশ্চিত নন ঐতিহ্যবাহী “মিস” বা “মিসেস.” ব্যবহার করবেন কি না, নাকি আধুনিক “সুশ্রী.” ব্যবহার করবেন। “মিস” বা “মিসেস.” ব্যবহার করলে মনে হতে পারে কোনো নারীর বৈবাহিক অবস্থা তার কাজের দক্ষতার সঙ্গে সম্পর্কিত। পুরুষদের ক্ষেত্রে সব সময় “জনাব.” ব্যবহার হয়, বৈবাহিক অবস্থা নির্বিশেষে। অন্যদিকে, কিছু নারী “মিস” বা “মিসেস.” পছন্দ করেন। ব্যক্তির পছন্দ জানা থাকলে সেটাই অনুসরণ করুন। না জানা থাকলে আধুনিক এবং লিঙ্গপক্ষপাত মুক্ত শব্দ ""সুশ্রী"" ব্যবহার করুন, যা আজকাল কর্মক্ষেত্রে স্বীকৃত।
=উপসংহার=
লিখনশৈলী সুগঠিত করা সফল, প্রযুক্তিগত ও পেশাগত লেখার ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আপনার কণ্ঠস্বর, বাক্যগঠন এবং শব্দ নির্বাচনের প্রতি যত্নবান হলে আপনি পাঠকদের সঙ্গে ভাল সংযোগ স্থাপন করতে পারবেন এবং তাদের লেখা গুরুত্বসহকারে নেবার জন্য অনুপ্রাণিত করতে পারবেন।
{{BookCat}}
k3a205em1l0rd4jyzy8so5rhy50ktwz
আলাপ:সবকিছুর জন্যেই ইন্টারনেট?/উন্মুক্ত উৎসের ও মালিকানাভিত্তিক প্রযুক্তি
1
27103
85808
83693
2025-07-07T22:55:50Z
MS Sakib
6561
MS Sakib [[আলাপ:সবকিছুর জন্যেই ইন্টারনেট?/ওপেনসোর্স ও মালিকানাভিত্তিক প্রযুক্তি]] কে [[আলাপ:সবকিছুর জন্যেই ইন্টারনেট?/উন্মুক্ত উৎসের ও মালিকানাভিত্তিক প্রযুক্তি]] শিরোনামে স্থানান্তর করেছেন
83693
wikitext
text/x-wiki
{{আলাপ পাতা}}
{{আলাপ পাতা/উইকিবই লিখন প্রতিযোগিতা ২০২৫}}
8vxn9zum7n3tju9ayrerhr25vm4kljv
বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস (প্রাচীন ও মধ্যযুগ)
0
27197
85820
85787
2025-07-08T04:39:40Z
Jonoikobangali
676
85820
wikitext
text/x-wiki
{| cellspacing="0" cellpadding="4" border="0" style="width:100%; border:solid #BBBBBB 5px; background:#EEEEEE"
|-
| style="vertical-align:center" | <div style="margin-left:15px;margin-right:15px">
{{book title|বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস (প্রাচীন ও মধ্যযুগ)}}
এই প্রকল্পটির উদ্দেশ্য বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠক্রম অনুযায়ী প্রাচীন ও মধ্যযুগীয় বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস সাধারণ পাঠকবর্গ ও শিক্ষার্থীদের উপযোগী করে প্রকাশ করা।
এই বইটিতে অষ্টাদশ শতক পর্যন্ত বাংলা সাহিত্যের কালানুক্রমিক ইতিহাস বর্ণিত হয়েছে। প্রথম পর্বে আছে সংস্কৃত, প্রাকৃত ও অপভ্রংশ ভাষায় বাঙালির রচিত সাহিত্য ও চর্যাপদের বিবরণ। দ্বিতীয় পর্বে রয়েছে প্রাক্-চৈতন্য যুগের কৃষ্ণকথা ও বৈষ্ণব পদাবলি সাহিত্য, অনুবাদ কাব্য এবং মঙ্গলকাব্যের বিবরণ। তৃতীয় পর্বে চৈতন্য যুগে রচিত অনুবাদ কাব্য, মঙ্গলকাব্য ও বৈষ্ণব পদাবলি সাহিত্যের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বিভিন্ন চৈতন্যজীবনী কাব্যের বিবরণও। চতুর্থ পর্বে বর্ণিত হয়েছে বৈষ্ণব পদাবলি ও পদসংকলন, মঙ্গলকাব্য, অনুবাদ কাব্য, শাক্ত পদাবলি, নাথ সাহিত্য, ময়মনসিংহ ও পূর্ববঙ্গ গীতিকা এবং চট্টগ্রাম-রোসাঙের রোম্যান্টিক প্রণয়কাব্যের বিবরণ।
|}
{| width="100%" cellspacing="0" cellpadding="4" border="0" style="border:solid #BBBBBB 1px; background:#EEEEEE"
|}
{| width="100%" cellspacing="0" cellpadding="4" border="0" style="border:solid #BBBBBB 1px; background:#EEEEEE"
<!-- ### পর্ব ১ ### -->
|-
| style="vertical-align:top;text-align:center" | <div style="margin-top:10px"></div>
| style="vertical-align:top" | <div style="margin-right:15px"><big>'''পর্ব ১''' – প্রাচীন যুগ: দশম-দ্বাদশ শতক</big>
# [[/সংস্কৃত, প্রাকৃত ও অপভ্রংশে রচিত বাঙালির সাহিত্য|সংস্কৃত, প্রাকৃত ও অপভ্রংশে রচিত বাঙালির সাহিত্য]]
## [[/সংস্কৃত, প্রাকৃত ও অপভ্রংশে রচিত বাঙালির সাহিত্য#সংস্কৃত, প্রাকৃত ও অপভ্রংশ ভাষা|সংস্কৃত, প্রাকৃত ও অপভ্রংশ ভাষা]]
## [[/সংস্কৃত, প্রাকৃত ও অপভ্রংশে রচিত বাঙালির সাহিত্য#বাঙালি ও সংস্কৃত সাহিত্য|বাঙালি ও সংস্কৃত সাহিত্য]]
## [[/সংস্কৃত, প্রাকৃত ও অপভ্রংশে রচিত বাঙালির সাহিত্য#বাঙালি ও প্রাকৃত সাহিত্য|বাঙালি ও প্রাকৃত সাহিত্য]]
## [[/সংস্কৃত, প্রাকৃত ও অপভ্রংশে রচিত বাঙালির সাহিত্য#বাঙালি ও অপভ্রংশ সাহিত্য|বাঙালি ও অপভ্রংশ সাহিত্য]]
# [[/চর্যাপদ|চর্যাপদ]]
## [[/চর্যাপদ#রচনাকাল ও গ্রন্থনাম বিচার|রচনাকাল ও গ্রন্থনাম বিচার]]
## [[/চর্যাপদ#কবি|কবি]]
### [[/চর্যাপদ#লুইপাদ|লুইপাদ]]
### [[/চর্যাপদ#শবরীপাদ|শবরীপাদ]]
### [[/চর্যাপদ#ভুসুকুপাদ|ভুসুকুপাদ]]
### [[/চর্যাপদ#সরহপাদ|সরহপাদ]]
### [[/চর্যাপদ#কাহ্নপাদ|কাহ্নপাদ]]
### [[/চর্যাপদ#বিরূপপাদ|বিরূপপাদ]]
### [[/চর্যাপদ#শান্তিপাদ|শান্তিপাদ]]
### [[/চর্যাপদ#দারিকপাদ|দারিকপাদ]]
### [[/চর্যাপদ#ডোম্বীপাদ|ডোম্বীপাদ]]
### [[/চর্যাপদ#কুক্কুরীপাদ|কুক্কুরীপাদ]]
### [[/চর্যাপদ#চাটিলপাদ|চাটিলপাদ]]
### [[/চর্যাপদ#আর্যদেব|আর্যদেব]]
### [[/চর্যাপদ#কম্বলাম্বরপাদ|কম্বলাম্বরপাদ]]
### [[/চর্যাপদ#বীণাপাদ|বীণাপাদ]]
### [[/চর্যাপদ#ভাদেপাদ|ভাদেপাদ]]
### [[/চর্যাপদ#মহীধরপাদ|মহীধরপাদ]]
### [[/চর্যাপদ#ধামপাদ|ধামপাদ]]
### [[/চর্যাপদ#কঙ্কণ|কঙ্কণ]]
### [[/চর্যাপদ#গুণ্ডরীপাদ|গুণ্ডরীপাদ]]
### [[/চর্যাপদ#তাড়কপাদ|তাড়কপাদ]]
### [[/চর্যাপদ#জয়নন্দী|জয়নন্দী]]
### [[/চর্যাপদ#ঢেণ্ঢণপাদ|ঢেণ্ঢণপাদ]]
### [[/চর্যাপদ#তন্ত্রীপাদ|তন্ত্রীপাদ]]
## [[/চর্যাপদ#ধর্মতত্ত্ব ও সাধনতত্ত্ব|ধর্মতত্ত্ব ও সাধনতত্ত্ব]]
## [[/চর্যাপদ#ভাষা|ভাষা]]
### [[/চর্যাপদ#সন্ধ্যাভাষা|সন্ধ্যাভাষা]]
## [[/চর্যাপদ#সাহিত্যমূল্য|সাহিত্যমূল্য]]
## [[/চর্যাপদ#সমাজচিত্র|সমাজচিত্র]]
</div>
</div>
| style="background:#CCCCEE;vertical-align:top" |
<!-- ### পর্ব ২ ### -->
|-
| style="vertical-align:top;text-align:center" | <div style="margin-top:10px"></div>
| style="vertical-align:top" | <div style="margin-right:15px"><big>'''পর্ব ২''' – আদি মধ্যযুগ: ত্রয়োদশ-পঞ্চদশ শতক</big>
# [[/প্রাক্-চৈতন্য যুগের কৃষ্ণকথা ও বৈষ্ণব পদাবলি|প্রাক্-চৈতন্য যুগের কৃষ্ণকথা ও বৈষ্ণব পদাবলি]]
## [[/প্রাক্-চৈতন্য যুগের কৃষ্ণকথা ও বৈষ্ণব পদাবলি#শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্য|''শ্রীকৃষ্ণকীর্তন'' কাব্য]]
### [[/প্রাক্-চৈতন্য যুগের কৃষ্ণকথা ও বৈষ্ণব পদাবলি#কবি: বড়ু চণ্ডীদাস|কবি: বড়ু চণ্ডীদাস]]
### [[/প্রাক্-চৈতন্য যুগের কৃষ্ণকথা ও বৈষ্ণব পদাবলি#কাব্য পরিচয়|কাব্য পরিচয়]]
### [[/প্রাক্-চৈতন্য যুগের কৃষ্ণকথা ও বৈষ্ণব পদাবলি#গ্রন্থনাম বিচার|গ্রন্থনাম বিচার]]
### [[/প্রাক্-চৈতন্য যুগের কৃষ্ণকথা ও বৈষ্ণব পদাবলি#পৌরাণিক প্রভাব ও মৌলিকতা|পৌরাণিক প্রভাব ও মৌলিকতা]]
### [[/প্রাক্-চৈতন্য যুগের কৃষ্ণকথা ও বৈষ্ণব পদাবলি#চরিত্রবিচার: কৃষ্ণ, রাধা ও বড়ায়ি|চরিত্রবিচার: কৃষ্ণ, রাধা ও বড়ায়ি]]
#### [[/প্রাক্-চৈতন্য যুগের কৃষ্ণকথা ও বৈষ্ণব পদাবলি#কৃষ্ণ|কৃষ্ণ]]
</div>
| style="background:#CCCCEE;vertical-align:top" |
|}
===ত্রয়োদশ শতক-পঞ্চদশ শতক===
# [[/শাহ মুহম্মদ সগীরের ইউসুফ জোলেখা|শাহ মুহম্মদ সগীরের ইউসুফ জোলেখা]]
====অনুবাদ কাব্য: রামায়ণ, মহাভারত ও ভাগবত====
; রামায়ণ অনুবাদ
# [[/কৃত্তিবাস ওঝা|কৃত্তিবাস ওঝা]]
; মহাভারত অনুবাদ
# [[/কবীন্দ্র পরমেশ্বর|কবীন্দ্র পরমেশ্বর]]
# [[/শ্রীকর নন্দী|শ্রীকর নন্দী]]
; ভাগবত অনুবাদ
# [[/মালাধর বসুর শ্রীকৃষ্ণবিজয়|মালাধর বসুর শ্রীকৃষ্ণবিজয়]]
====মঙ্গলকাব্য: মনসামঙ্গল ও চণ্ডীমঙ্গল====
; মনসামঙ্গল
# [[/হরি দত্ত|হরি দত্ত]]
# [[/নারায়ণ দেব|নারায়ণ দেব]]
# [[/বিজয় গুপ্ত|বিজয় গুপ্ত]]
# [[/বিপ্রদাস পিপলাই|বিপ্রদাস পিপলাই]]
; চণ্ডীমঙ্গল
# [[/মানিক দত্ত|মানিক দত্ত]]
===ষোড়শ শতক থেকে মধ্য সপ্তদশ শতক===
====মঙ্গলকাব্য: মনসামঙ্গল, চণ্ডীমঙ্গল, ধর্মমঙ্গল, শিবায়ন ও কালিকামঙ্গল বা বিদ্যাসুন্দর====
; মনসামঙ্গল
# [[/কেতকাদাস ক্ষেমানন্দ|কেতকাদাস ক্ষেমানন্দ]]
# [[/ দ্বিজ বংশীদাস|দ্বিজ বংশীদাস]]
; চণ্ডীমঙ্গল
# [[/দ্বিজ মাধব|দ্বিজ মাধব]]
# [[/মুকুন্দ চক্রবর্তী|মুকুন্দ চক্রবর্তী]]
# [[/দ্বিজ রামদেব|দ্বিজ রামদেব]]
; ধর্মমঙ্গল
# [[/রামাই পণ্ডিত|রামাই পণ্ডিত]]
# [[/রূপরাম চক্রবর্তী|রূপরাম চক্রবর্তী]]
# [[/খেলারাম চক্রবর্তী|খেলারাম চক্রবর্তী]]
; শিবায়ন
# [[/রামকৃষ্ণ রায়|রামকৃষ্ণ রায়]]
; কালিকামঙ্গল বা বিদ্যাসুন্দর
# [[/দ্বিজ শ্রীধর|দ্বিজ শ্রীধর]]
====বৈষ্ণব পদাবলি====
# [[/মুরারি গুপ্ত|মুরারি গুপ্ত]]
# [[/নরহরি সরকার|নরহরি সরকার]]
# [[/শিবানন্দ সেন|শিবানন্দ সেন]]
# [[/জ্ঞানদাস|জ্ঞানদাস]]
# [[/গোবিন্দদাস|গোবিন্দদাস]]
# [[/বাসুদেব ঘোষ|বাসুদেব ঘোষ]]
# [[/রামানন্দ বসু|রামানন্দ বসু]]
# [[/বংশীবদন চট্টোপাধ্যায়|বংশীবদন চট্টোপাধ্যায়]]
# [[/বলরাম দাস|বলরাম দাস]]
# [[/যদুনন্দন দাস|যদুনন্দন দাস]]
# [[/মাধবদাস|মাধবদাস]]
# [[/অনন্ত দাস|অনন্ত দাস]]
====চরিতকাব্য====
# [[/বৃন্দাবন দাসের চৈতন্যভাগবত|বৃন্দাবন দাসের চৈতন্যভাগবত]]
# [[/লোচন দাসের চৈতন্যমঙ্গল|লোচন দাসের চৈতন্যমঙ্গল]]
# [[/জয়ানন্দের চৈতন্যমঙ্গল|জয়ানন্দের চৈতন্যমঙ্গল]]
# [[/কৃষ্ণদাস কবিরাজের চৈতন্যচরিতামৃত|কৃষ্ণদাস কবিরাজের চৈতন্যচরিতামৃত]]
# [[/গোবিন্দদাসের কড়চা|গোবিন্দদাসের কড়চা]]
# [[/চূড়ামণি দাসের গৌরাঙ্গ বিজয়|চূড়ামণি দাসের গৌরাঙ্গ বিজয়]]
====অনুবাদ কাব্য: রামায়ণ, মহাভারত ও ভাগবত====
; রামায়ণ
# [[/অদ্ভুতাচার্য|অদ্ভুতাচার্য]]
# [[/চন্দ্রাবতী|চন্দ্রাবতী]]
; মহাভারত
# [[/কাশীরাম দাস|কাশীরাম দাস]]
; ভাগবত
# [[/রঘুনাথের শ্রীকৃষ্ণপ্রেমতরঙ্গিনী|রঘুনাথের শ্রীকৃষ্ণপ্রেমতরঙ্গিনী]]
# [[/মাধবাচার্যের শ্রীকৃষ্ণমঙ্গল|মাধবাচার্যের শ্রীকৃষ্ণমঙ্গল]]
# [[/দুঃখী শ্যামদাসের গোবিন্দমঙ্গল|দুঃখী শ্যামদাসের গোবিন্দমঙ্গল]]
===মধ্য সপ্তদশ শতক—অষ্টাদশ শতক===
====বৈষ্ণব পদাবলি====
# [[/প্রেমদাস|প্রেমদাস]]
# [[/রাধামোহন ঠাকুর|রাধামোহন ঠাকুর]]
# [[/চন্দ্রশেখর|চন্দ্রশেখর]]
=====বৈষ্ণব পদসংকলন=====
# [[/ক্ষণদাগীতচিন্তামণি|ক্ষণদাগীতচিন্তামণি]]
# [[/গীতচন্দ্রোদয়|গীতচন্দ্রোদয়]]
# [[/গৌরচরিতচিন্তামণি|গৌরচরিতচিন্তামণি]]
# [[/পদামৃতসমুদ্র|পদামৃতসমুদ্র]]
# [[/পদকল্পতরু|পদকল্পতরু]]
====মঙ্গলকাব্য: মনসামঙ্গল, ধর্মমঙ্গল, অন্নদামঙ্গল, কালিকামঙ্গল বা বিদ্যাসুন্দর ও শিবায়ন====
; মনসামঙ্গল
# [[/তন্ত্রবিভূতি|তন্ত্রবিভূতি]]
# [[/জগজ্জীবন ঘোষাল|জগজ্জীবন ঘোষাল]]
# [[/জীবন মৈত্র|জীবন মৈত্র]]
; ধর্মমঙ্গল
# [[/রামদাস আদক|রামদাস আদক]]
# [[/সীতারাম দাস|সীতারাম দাস]]
# [[/যাদুনাথ বা যাদবনাথ|যাদুনাথ বা যাদবনাথ]]
# [[/শ্রীশ্যাম পণ্ডিত|শ্রীশ্যাম পণ্ডিত]]
# [[/ঘনরাম চক্রবর্তী|ঘনরাম চক্রবর্তী]]
# [[/মানিক গাঙ্গুলী|মানিক গাঙ্গুলী]]
; অন্নদামঙ্গল
# [[/ভারতচন্দ্র রায়|ভারতচন্দ্র রায়]]
; কালিকামঙ্গল বা বিদ্যাসুন্দর
# [[/কৃষ্ণরাম দাস|কৃষ্ণরাম দাস]]
# [[/রামপ্রসাদ সেন|রামপ্রসাদ সেন]]
# [[/বলরাম চক্রবর্তী|বলরাম চক্রবর্তী]]
; শিবায়ন
# [[/রামেশ্বর ভট্টাচার্য|রামেশ্বর ভট্টাচার্য]]
====অনুবাদ কাব্য: রামায়ণ, মহাভারত ও ভাগবত====
; রামায়ণ
# [[/শঙ্কর কবিচন্দ্র|শঙ্কর কবিচন্দ্র]]
# [[/জগৎরাম রায়|জগৎরাম রায়]]
# [[/রামানন্দ ঘোষ|রামানন্দ ঘোষ]]
; মহাভারত
# [[/দ্বৈপায়ন দাস|দ্বৈপায়ন দাস]]
# [[/নন্দরাম দাস|নন্দরাম দাস]]
# [[/গঙ্গাদাস সেন|গঙ্গাদাস সেন]]
; ভাগবত
# [[/শঙ্কর কবিচন্দ্র|শঙ্কর কবিচন্দ্র]]
# [[/বলরাম দাস|বলরাম দাস]]
# [[/দ্বিজ মাধবেন্দ্র|দ্বিজ মাধবেন্দ্র]]
# [[/দ্বিজ রমানাথ|দ্বিজ রমানাথ]]
====শাক্ত পদাবলি====
# [[/রামপ্রসাদ সেন|রামপ্রসাদ সেন]]
# [[/কললাকান্ত ভট্টাচার্য|কমলাকান্ত ভট্টাচার্য]]
# [[/অন্যান্য শাক্ত পদকর্তা|অন্যান্য শাক্ত পদকর্তা]]
====নাথ সাহিত্য====
# [[/নাথ সাহিত্য|নাথ সাহিত্য]]
====ময়মনসিংহ গীতিকা ও পূর্ববঙ্গ গীতিকা====
# [[/ময়মনসিংহ গীতিকা|ময়মনসিংহ গীতিকা]]
# [[/পূর্ববঙ্গ গীতিকা|পূর্ববঙ্গ গীতিকা]]
====চট্টগ্রাম-রোসাঙের রোম্যান্টিক প্রণয়কাব্য====
# [[/চট্টগ্রাম-রোসাঙের রোম্যান্টিক প্রণয়কাব্য|চট্টগ্রাম রোসাঙের রোম্যান্টিক প্রণয়কাব্য]]
{{বিষয়|বাংলা সাহিত্য}}
{{বর্ণানুক্রমিক|ব}}
{{বিষয়|সাহিত্য}}
{{বইয়ের বিষয়শ্রেণী}}
td36lc7dpqfgyiaqx27uecsoga4m47d
85847
85820
2025-07-08T11:06:03Z
Jonoikobangali
676
85847
wikitext
text/x-wiki
{| cellspacing="0" cellpadding="4" border="0" style="width:100%; border:solid #BBBBBB 5px; background:#EEEEEE"
|-
| style="vertical-align:center" | <div style="margin-left:15px;margin-right:15px">
{{book title|বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস (প্রাচীন ও মধ্যযুগ)}}
এই প্রকল্পটির উদ্দেশ্য বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠক্রম অনুযায়ী প্রাচীন ও মধ্যযুগীয় বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস সাধারণ পাঠকবর্গ ও শিক্ষার্থীদের উপযোগী করে প্রকাশ করা।
এই বইটিতে অষ্টাদশ শতক পর্যন্ত বাংলা সাহিত্যের কালানুক্রমিক ইতিহাস বর্ণিত হয়েছে। প্রথম পর্বে আছে সংস্কৃত, প্রাকৃত ও অপভ্রংশ ভাষায় বাঙালির রচিত সাহিত্য ও চর্যাপদের বিবরণ। দ্বিতীয় পর্বে রয়েছে প্রাক্-চৈতন্য যুগের কৃষ্ণকথা ও বৈষ্ণব পদাবলি সাহিত্য, অনুবাদ কাব্য এবং মঙ্গলকাব্যের বিবরণ। তৃতীয় পর্বে চৈতন্য যুগে রচিত অনুবাদ কাব্য, মঙ্গলকাব্য ও বৈষ্ণব পদাবলি সাহিত্যের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বিভিন্ন চৈতন্যজীবনী কাব্যের বিবরণও। চতুর্থ পর্বে বর্ণিত হয়েছে বৈষ্ণব পদাবলি ও পদসংকলন, মঙ্গলকাব্য, অনুবাদ কাব্য, শাক্ত পদাবলি, নাথ সাহিত্য, ময়মনসিংহ ও পূর্ববঙ্গ গীতিকা এবং চট্টগ্রাম-রোসাঙের রোম্যান্টিক প্রণয়কাব্যের বিবরণ।
|}
{| width="100%" cellspacing="0" cellpadding="4" border="0" style="border:solid #BBBBBB 1px; background:#EEEEEE"
|}
{| width="100%" cellspacing="0" cellpadding="4" border="0" style="border:solid #BBBBBB 1px; background:#EEEEEE"
<!-- ### পর্ব ১ ### -->
|-
| style="vertical-align:top;text-align:center" | <div style="margin-top:10px"></div>
| style="vertical-align:top" | <div style="margin-right:15px"><big>'''পর্ব ১''' – প্রাচীন যুগ: দশম-দ্বাদশ শতক</big>
# [[/সংস্কৃত, প্রাকৃত ও অপভ্রংশে রচিত বাঙালির সাহিত্য|সংস্কৃত, প্রাকৃত ও অপভ্রংশে রচিত বাঙালির সাহিত্য]]
## [[/সংস্কৃত, প্রাকৃত ও অপভ্রংশে রচিত বাঙালির সাহিত্য#সংস্কৃত, প্রাকৃত ও অপভ্রংশ ভাষা|সংস্কৃত, প্রাকৃত ও অপভ্রংশ ভাষা]]
## [[/সংস্কৃত, প্রাকৃত ও অপভ্রংশে রচিত বাঙালির সাহিত্য#বাঙালি ও সংস্কৃত সাহিত্য|বাঙালি ও সংস্কৃত সাহিত্য]]
## [[/সংস্কৃত, প্রাকৃত ও অপভ্রংশে রচিত বাঙালির সাহিত্য#বাঙালি ও প্রাকৃত সাহিত্য|বাঙালি ও প্রাকৃত সাহিত্য]]
## [[/সংস্কৃত, প্রাকৃত ও অপভ্রংশে রচিত বাঙালির সাহিত্য#বাঙালি ও অপভ্রংশ সাহিত্য|বাঙালি ও অপভ্রংশ সাহিত্য]]
# [[/চর্যাপদ|চর্যাপদ]]
## [[/চর্যাপদ#রচনাকাল ও গ্রন্থনাম বিচার|রচনাকাল ও গ্রন্থনাম বিচার]]
## [[/চর্যাপদ#কবি|কবি]]
### [[/চর্যাপদ#লুইপাদ|লুইপাদ]]
### [[/চর্যাপদ#শবরীপাদ|শবরীপাদ]]
### [[/চর্যাপদ#ভুসুকুপাদ|ভুসুকুপাদ]]
### [[/চর্যাপদ#সরহপাদ|সরহপাদ]]
### [[/চর্যাপদ#কাহ্নপাদ|কাহ্নপাদ]]
### [[/চর্যাপদ#বিরূপপাদ|বিরূপপাদ]]
### [[/চর্যাপদ#শান্তিপাদ|শান্তিপাদ]]
### [[/চর্যাপদ#দারিকপাদ|দারিকপাদ]]
### [[/চর্যাপদ#ডোম্বীপাদ|ডোম্বীপাদ]]
### [[/চর্যাপদ#কুক্কুরীপাদ|কুক্কুরীপাদ]]
### [[/চর্যাপদ#চাটিলপাদ|চাটিলপাদ]]
### [[/চর্যাপদ#আর্যদেব|আর্যদেব]]
### [[/চর্যাপদ#কম্বলাম্বরপাদ|কম্বলাম্বরপাদ]]
### [[/চর্যাপদ#বীণাপাদ|বীণাপাদ]]
### [[/চর্যাপদ#ভাদেপাদ|ভাদেপাদ]]
### [[/চর্যাপদ#মহীধরপাদ|মহীধরপাদ]]
### [[/চর্যাপদ#ধামপাদ|ধামপাদ]]
### [[/চর্যাপদ#কঙ্কণ|কঙ্কণ]]
### [[/চর্যাপদ#গুণ্ডরীপাদ|গুণ্ডরীপাদ]]
### [[/চর্যাপদ#তাড়কপাদ|তাড়কপাদ]]
### [[/চর্যাপদ#জয়নন্দী|জয়নন্দী]]
### [[/চর্যাপদ#ঢেণ্ঢণপাদ|ঢেণ্ঢণপাদ]]
### [[/চর্যাপদ#তন্ত্রীপাদ|তন্ত্রীপাদ]]
## [[/চর্যাপদ#ধর্মতত্ত্ব ও সাধনতত্ত্ব|ধর্মতত্ত্ব ও সাধনতত্ত্ব]]
## [[/চর্যাপদ#ভাষা|ভাষা]]
### [[/চর্যাপদ#সন্ধ্যাভাষা|সন্ধ্যাভাষা]]
## [[/চর্যাপদ#সাহিত্যমূল্য|সাহিত্যমূল্য]]
## [[/চর্যাপদ#সমাজচিত্র|সমাজচিত্র]]
</div>
</div>
| style="background:#CCCCEE;vertical-align:top" |
<!-- ### পর্ব ২ ### -->
|-
| style="vertical-align:top;text-align:center" | <div style="margin-top:10px"></div>
| style="vertical-align:top" | <div style="margin-right:15px"><big>'''পর্ব ২''' – আদি মধ্যযুগ: ত্রয়োদশ-পঞ্চদশ শতক</big>
# [[/প্রাক্-চৈতন্য যুগের কৃষ্ণকথা ও বৈষ্ণব পদাবলি|প্রাক্-চৈতন্য যুগের কৃষ্ণকথা ও বৈষ্ণব পদাবলি]]
## [[/প্রাক্-চৈতন্য যুগের কৃষ্ণকথা ও বৈষ্ণব পদাবলি#শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্য|''শ্রীকৃষ্ণকীর্তন'' কাব্য]]
### [[/প্রাক্-চৈতন্য যুগের কৃষ্ণকথা ও বৈষ্ণব পদাবলি#কবি: বড়ু চণ্ডীদাস|কবি: বড়ু চণ্ডীদাস]]
### [[/প্রাক্-চৈতন্য যুগের কৃষ্ণকথা ও বৈষ্ণব পদাবলি#কাব্য পরিচয়|কাব্য পরিচয়]]
### [[/প্রাক্-চৈতন্য যুগের কৃষ্ণকথা ও বৈষ্ণব পদাবলি#গ্রন্থনাম বিচার|গ্রন্থনাম বিচার]]
### [[/প্রাক্-চৈতন্য যুগের কৃষ্ণকথা ও বৈষ্ণব পদাবলি#পৌরাণিক প্রভাব ও মৌলিকতা|পৌরাণিক প্রভাব ও মৌলিকতা]]
### [[/প্রাক্-চৈতন্য যুগের কৃষ্ণকথা ও বৈষ্ণব পদাবলি#চরিত্রবিচার: কৃষ্ণ, রাধা ও বড়ায়ি|চরিত্রবিচার: কৃষ্ণ, রাধা ও বড়ায়ি]]
#### [[/প্রাক্-চৈতন্য যুগের কৃষ্ণকথা ও বৈষ্ণব পদাবলি#কৃষ্ণ|কৃষ্ণ]]
#### [[/প্রাক্-চৈতন্য যুগের কৃষ্ণকথা ও বৈষ্ণব পদাবলি#রাধা|রাধা]]
</div>
| style="background:#CCCCEE;vertical-align:top" |
|}
===ত্রয়োদশ শতক-পঞ্চদশ শতক===
# [[/শাহ মুহম্মদ সগীরের ইউসুফ জোলেখা|শাহ মুহম্মদ সগীরের ইউসুফ জোলেখা]]
====অনুবাদ কাব্য: রামায়ণ, মহাভারত ও ভাগবত====
; রামায়ণ অনুবাদ
# [[/কৃত্তিবাস ওঝা|কৃত্তিবাস ওঝা]]
; মহাভারত অনুবাদ
# [[/কবীন্দ্র পরমেশ্বর|কবীন্দ্র পরমেশ্বর]]
# [[/শ্রীকর নন্দী|শ্রীকর নন্দী]]
; ভাগবত অনুবাদ
# [[/মালাধর বসুর শ্রীকৃষ্ণবিজয়|মালাধর বসুর শ্রীকৃষ্ণবিজয়]]
====মঙ্গলকাব্য: মনসামঙ্গল ও চণ্ডীমঙ্গল====
; মনসামঙ্গল
# [[/হরি দত্ত|হরি দত্ত]]
# [[/নারায়ণ দেব|নারায়ণ দেব]]
# [[/বিজয় গুপ্ত|বিজয় গুপ্ত]]
# [[/বিপ্রদাস পিপলাই|বিপ্রদাস পিপলাই]]
; চণ্ডীমঙ্গল
# [[/মানিক দত্ত|মানিক দত্ত]]
===ষোড়শ শতক থেকে মধ্য সপ্তদশ শতক===
====মঙ্গলকাব্য: মনসামঙ্গল, চণ্ডীমঙ্গল, ধর্মমঙ্গল, শিবায়ন ও কালিকামঙ্গল বা বিদ্যাসুন্দর====
; মনসামঙ্গল
# [[/কেতকাদাস ক্ষেমানন্দ|কেতকাদাস ক্ষেমানন্দ]]
# [[/ দ্বিজ বংশীদাস|দ্বিজ বংশীদাস]]
; চণ্ডীমঙ্গল
# [[/দ্বিজ মাধব|দ্বিজ মাধব]]
# [[/মুকুন্দ চক্রবর্তী|মুকুন্দ চক্রবর্তী]]
# [[/দ্বিজ রামদেব|দ্বিজ রামদেব]]
; ধর্মমঙ্গল
# [[/রামাই পণ্ডিত|রামাই পণ্ডিত]]
# [[/রূপরাম চক্রবর্তী|রূপরাম চক্রবর্তী]]
# [[/খেলারাম চক্রবর্তী|খেলারাম চক্রবর্তী]]
; শিবায়ন
# [[/রামকৃষ্ণ রায়|রামকৃষ্ণ রায়]]
; কালিকামঙ্গল বা বিদ্যাসুন্দর
# [[/দ্বিজ শ্রীধর|দ্বিজ শ্রীধর]]
====বৈষ্ণব পদাবলি====
# [[/মুরারি গুপ্ত|মুরারি গুপ্ত]]
# [[/নরহরি সরকার|নরহরি সরকার]]
# [[/শিবানন্দ সেন|শিবানন্দ সেন]]
# [[/জ্ঞানদাস|জ্ঞানদাস]]
# [[/গোবিন্দদাস|গোবিন্দদাস]]
# [[/বাসুদেব ঘোষ|বাসুদেব ঘোষ]]
# [[/রামানন্দ বসু|রামানন্দ বসু]]
# [[/বংশীবদন চট্টোপাধ্যায়|বংশীবদন চট্টোপাধ্যায়]]
# [[/বলরাম দাস|বলরাম দাস]]
# [[/যদুনন্দন দাস|যদুনন্দন দাস]]
# [[/মাধবদাস|মাধবদাস]]
# [[/অনন্ত দাস|অনন্ত দাস]]
====চরিতকাব্য====
# [[/বৃন্দাবন দাসের চৈতন্যভাগবত|বৃন্দাবন দাসের চৈতন্যভাগবত]]
# [[/লোচন দাসের চৈতন্যমঙ্গল|লোচন দাসের চৈতন্যমঙ্গল]]
# [[/জয়ানন্দের চৈতন্যমঙ্গল|জয়ানন্দের চৈতন্যমঙ্গল]]
# [[/কৃষ্ণদাস কবিরাজের চৈতন্যচরিতামৃত|কৃষ্ণদাস কবিরাজের চৈতন্যচরিতামৃত]]
# [[/গোবিন্দদাসের কড়চা|গোবিন্দদাসের কড়চা]]
# [[/চূড়ামণি দাসের গৌরাঙ্গ বিজয়|চূড়ামণি দাসের গৌরাঙ্গ বিজয়]]
====অনুবাদ কাব্য: রামায়ণ, মহাভারত ও ভাগবত====
; রামায়ণ
# [[/অদ্ভুতাচার্য|অদ্ভুতাচার্য]]
# [[/চন্দ্রাবতী|চন্দ্রাবতী]]
; মহাভারত
# [[/কাশীরাম দাস|কাশীরাম দাস]]
; ভাগবত
# [[/রঘুনাথের শ্রীকৃষ্ণপ্রেমতরঙ্গিনী|রঘুনাথের শ্রীকৃষ্ণপ্রেমতরঙ্গিনী]]
# [[/মাধবাচার্যের শ্রীকৃষ্ণমঙ্গল|মাধবাচার্যের শ্রীকৃষ্ণমঙ্গল]]
# [[/দুঃখী শ্যামদাসের গোবিন্দমঙ্গল|দুঃখী শ্যামদাসের গোবিন্দমঙ্গল]]
===মধ্য সপ্তদশ শতক—অষ্টাদশ শতক===
====বৈষ্ণব পদাবলি====
# [[/প্রেমদাস|প্রেমদাস]]
# [[/রাধামোহন ঠাকুর|রাধামোহন ঠাকুর]]
# [[/চন্দ্রশেখর|চন্দ্রশেখর]]
=====বৈষ্ণব পদসংকলন=====
# [[/ক্ষণদাগীতচিন্তামণি|ক্ষণদাগীতচিন্তামণি]]
# [[/গীতচন্দ্রোদয়|গীতচন্দ্রোদয়]]
# [[/গৌরচরিতচিন্তামণি|গৌরচরিতচিন্তামণি]]
# [[/পদামৃতসমুদ্র|পদামৃতসমুদ্র]]
# [[/পদকল্পতরু|পদকল্পতরু]]
====মঙ্গলকাব্য: মনসামঙ্গল, ধর্মমঙ্গল, অন্নদামঙ্গল, কালিকামঙ্গল বা বিদ্যাসুন্দর ও শিবায়ন====
; মনসামঙ্গল
# [[/তন্ত্রবিভূতি|তন্ত্রবিভূতি]]
# [[/জগজ্জীবন ঘোষাল|জগজ্জীবন ঘোষাল]]
# [[/জীবন মৈত্র|জীবন মৈত্র]]
; ধর্মমঙ্গল
# [[/রামদাস আদক|রামদাস আদক]]
# [[/সীতারাম দাস|সীতারাম দাস]]
# [[/যাদুনাথ বা যাদবনাথ|যাদুনাথ বা যাদবনাথ]]
# [[/শ্রীশ্যাম পণ্ডিত|শ্রীশ্যাম পণ্ডিত]]
# [[/ঘনরাম চক্রবর্তী|ঘনরাম চক্রবর্তী]]
# [[/মানিক গাঙ্গুলী|মানিক গাঙ্গুলী]]
; অন্নদামঙ্গল
# [[/ভারতচন্দ্র রায়|ভারতচন্দ্র রায়]]
; কালিকামঙ্গল বা বিদ্যাসুন্দর
# [[/কৃষ্ণরাম দাস|কৃষ্ণরাম দাস]]
# [[/রামপ্রসাদ সেন|রামপ্রসাদ সেন]]
# [[/বলরাম চক্রবর্তী|বলরাম চক্রবর্তী]]
; শিবায়ন
# [[/রামেশ্বর ভট্টাচার্য|রামেশ্বর ভট্টাচার্য]]
====অনুবাদ কাব্য: রামায়ণ, মহাভারত ও ভাগবত====
; রামায়ণ
# [[/শঙ্কর কবিচন্দ্র|শঙ্কর কবিচন্দ্র]]
# [[/জগৎরাম রায়|জগৎরাম রায়]]
# [[/রামানন্দ ঘোষ|রামানন্দ ঘোষ]]
; মহাভারত
# [[/দ্বৈপায়ন দাস|দ্বৈপায়ন দাস]]
# [[/নন্দরাম দাস|নন্দরাম দাস]]
# [[/গঙ্গাদাস সেন|গঙ্গাদাস সেন]]
; ভাগবত
# [[/শঙ্কর কবিচন্দ্র|শঙ্কর কবিচন্দ্র]]
# [[/বলরাম দাস|বলরাম দাস]]
# [[/দ্বিজ মাধবেন্দ্র|দ্বিজ মাধবেন্দ্র]]
# [[/দ্বিজ রমানাথ|দ্বিজ রমানাথ]]
====শাক্ত পদাবলি====
# [[/রামপ্রসাদ সেন|রামপ্রসাদ সেন]]
# [[/কললাকান্ত ভট্টাচার্য|কমলাকান্ত ভট্টাচার্য]]
# [[/অন্যান্য শাক্ত পদকর্তা|অন্যান্য শাক্ত পদকর্তা]]
====নাথ সাহিত্য====
# [[/নাথ সাহিত্য|নাথ সাহিত্য]]
====ময়মনসিংহ গীতিকা ও পূর্ববঙ্গ গীতিকা====
# [[/ময়মনসিংহ গীতিকা|ময়মনসিংহ গীতিকা]]
# [[/পূর্ববঙ্গ গীতিকা|পূর্ববঙ্গ গীতিকা]]
====চট্টগ্রাম-রোসাঙের রোম্যান্টিক প্রণয়কাব্য====
# [[/চট্টগ্রাম-রোসাঙের রোম্যান্টিক প্রণয়কাব্য|চট্টগ্রাম রোসাঙের রোম্যান্টিক প্রণয়কাব্য]]
{{বিষয়|বাংলা সাহিত্য}}
{{বর্ণানুক্রমিক|ব}}
{{বিষয়|সাহিত্য}}
{{বইয়ের বিষয়শ্রেণী}}
i2xxkppvcjfvlo8xgayrjcx1y0qq81c
বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস (প্রাচীন ও মধ্যযুগ)/প্রাক্-চৈতন্য যুগের কৃষ্ণকথা ও বৈষ্ণব পদাবলি
0
27249
85819
85785
2025-07-08T04:38:49Z
Jonoikobangali
676
/* চরিত্রবিচার: কৃষ্ণ, রাধা ও বড়ায়ি */
85819
wikitext
text/x-wiki
পৌরাণিক সংস্কৃতির অন্যতম বিশিষ্ট একটি ধারা হল কৃষ্ণকথার ধারা। বৈদিক সাহিত্যেই এই কৃষ্ণকথার বীজ নিহিত ছিল। ক্রমে পুরাণগুলির মধ্যে দিয়ে ক্রমবিকাশের নানা পর্যায় পার হয়ে বিষ্ণু, নারায়ণ, হরি, বাসুদেব ইত্যাদি পৌরাণিক চরিত্র একক পুরুষে একীভূত হয়ে যায়। তখন তিনি হন অংশী, অন্যরা অংশ। আনুমানিক খ্রিস্টীয় ৮০০ থেকে ১০০০ অব্দের মধ্যবর্তীকালে রচিত ভাগবত পুরাণে সেই অংশী ‘স্বয়ং ভগবান’ কৃষ্ণ নামে কথিত হলেন। এই পুরাণে ধারাবাহিকভাবে বর্ণিত হল কৃষ্ণের জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত সমস্ত কাহিনি। বস্তুত ভাগবতধর্মের বিকাশ ঘটল এই গ্রন্থ রচনার পরে। এরপর একাদশ শতকে দক্ষিণ ভারত থেকে ভক্তি আন্দোলনের ঢেউ এসে পড়ল উত্তর ভারতেও। সেই সূত্রে বাংলাতেও এসে উপস্থিত হল কৃষ্ণভক্তিবাদ। সেন আমলে বাংলায় যে ব্রাহ্মণ্য সংস্কৃতির প্রতিষ্ঠা ও প্রসার ঘটেছিল, তার অন্যতম অবলম্বন ছিল কৃষ্ণকথা। জয়দেব তাঁর ''গীতগোবিন্দম্'' কাব্যে কৃষ্ণকে একই সঙ্গে করে তুললেন পরমারাধ্য বিষ্ণুর অবতার এবং কামকেলিকলার নায়ক।
ঠিক এই সময়েই বাংলার রাজনৈতিক ইতিহাসে এমন এক যুগান্তকারী ঘটনা ঘটল, যার সুদূরপ্রসারী ফলে বাঙালি সমাজ, বাংলার সাহিত্য ও সংস্কৃতি এবং বাঙালি হিন্দুর দৈনিক জীবনে এল এক আমূল পরিবর্তন। ঘটনাটি ইতিহাসে তুর্কি আক্রমণ নামে খ্যাত। ১২০৩ খ্রিস্টাব্দে স্বল্পসংখ্যক যোদ্ধা নিতে তুর্কি সেনানায়ক ইখ্তিয়ার-উদ্দিন মহম্মদ বিন বখ্তিয়ার খিলজি আক্রমণ করলেন রাজা লক্ষ্মণসেনের রাজ্য। বৃদ্ধ রাজা পালিয়ে গেলেন পূর্ববঙ্গে। বিদেশি শাসনে সাধারণ হিন্দুরা সমূহ বিপদের সম্মুখীন হল। এই সংকটকালে কোনও সাহিত্য রচিত হয়েছিল কিনা সেই বিষয়ে সঠিক তথ্য আজও পাওয়া যায় না। অনুমান করা হয়, তুর্কি আক্রমণের প্রাথমিক আঘাত কাটিয়ে ওঠার পর সমাজজীবন সুস্থির হলে বাঙালির সাহিত্যচর্চার অবকাশ তৈরি হয়। এই দু-আড়াইশো বছর সময়টিকে মধ্যযুগীয় বাংলা সাহিত্যের প্রস্তুতি পর্ব বলা যায়। এই সময়েই বিদেশি শাসকের ধর্মীয় ও সামাজিক নির্যাতন থেকে বাঁচতে বাংলা সাহিত্যকে অবলম্বন করে বাঙালি হিন্দু এক সাংস্কৃতিক বর্ম গড়ে তোলে।
আসলে দীর্ঘদিন ধরে হিন্দুসমাজের অন্ত্যজ-অস্পৃশ্য শ্রেণির মানুষেরা উচ্চবর্ণের নিপীড়ন সহ্য করার পর ইসলামের সাম্যবাদী নীতিতে আকৃষ্ট হতে শুরু করেছিল। সেই সঙ্গে শাসকবর্গের প্রলোভন ও দমনপীড়নের নীতি তো ছিলই। ফলে দলে দলে লোক ধর্মান্তরিত হচ্ছিল ভয়ে, লোভে, পীড়নে ও পিরদের কেরামতিতে আকৃষ্ট হয়ে। এতে হিন্দু সমাজপতিদের টনক নড়ে। নিজেদের ধর্মাদর্শকে দেশীয় ভাষায় সকলের কাছে প্রচারের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে তারা। সমাজের ভাঙন প্রতিরোধে শাস্ত্রকথা শুনিয়ে লোক-নিস্তারণের দায়িত্ব নেন অনুবাদক কবিরা। অন্যদিকে মঙ্গলকাব্যের আখ্যানে উঠে আসে অবনমিত সম্প্রদায়ের উপরে ওঠার ইতিহাস। চণ্ডী, মনসা, ধর্মঠাকুর প্রমুখ লোকদেবতা আর অপাংক্তেয় হয়ে থাকেন না, বরং মন্ত্র ও পূজা ইত্যাদি প্রাপ্তির মাধ্যমে তাঁরাও স্বীকৃত হন উচ্চসমাজে। প্রাক্-চৈতন্য যুগে বাংলায় প্রচারিত কৃষ্ণকথা ও বৈষ্ণব পদাবলি সাহিত্য এই প্রেক্ষাপটেই বিবেচ্য।
খ্রিস্টীয় চতুর্থ-পঞ্চম শতকে গুপ্তযুগে কৃষ্ণের নৈষ্ঠিক পূজার্চনার রীতি চালু হয়। তৎকালীন অভিলিখন, ভাস্কর্য ও শাস্ত্রগ্রন্থে তার প্রমাণ পাওয়া যায়। অষ্টম শতকে শঙ্করাচার্যের আবির্ভাবে বৈদান্তিক মতের প্রাধান্য ঘটে। সম্ভবত এরই প্রতিক্রিয়ায় একাদশ শতকে দক্ষিণ ভারতের বৈষ্ণব ভক্তিবাদী আন্দোলনের ঢেউ এসে পড়ে উত্তর ভারতে। আরও তিন শতক পরে চতুর্দশ শতকের শেষভাগে মাধবেন্দ্র পুরী সারা ভারতে কৃষ্ণভক্তিবাদ প্রচার করেন। শোনা যায় বাংলায় তিনি কৃষ্ণভক্তির সূচনা করেছিলেন অদ্বৈত আচার্য ও ঈশ্বর পুরী নামে দুই শিষ্যের মাধ্যমে। ঈশ্বর পুরীই দশাক্ষর গোপালমন্ত্রে দীক্ষা দিয়েছিলেন নবদ্বীপের বিখ্যাত স্মার্ত নিমাই পণ্ডিতকে—যিনি সন্ন্যাসগ্রহণের পর শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য বা চৈতন্য মহাপ্রভু নামে পরিচিত হন। বস্তুত ভক্তিবাদের অন্যতম শ্রেষ্ঠ প্রবক্তা চৈতন্যের প্রভাবে বাংলায় কৃষ্ণকথা ও বৈষ্ণব পদাবলি এক নতুন মাত্রা লাভ করে। তাঁর রাগানুগা ভক্তি প্রচলিত কৃষ্ণার্চনার ধারায় এক অভিনব সংযোজন। প্রাক্-চৈতন্য যুগের তুলনায় তাই চৈতন্য-পরবর্তী যুগের কৃষ্ণকেন্দ্রিক সাহিত্যচর্চার ধারা অনেকটাই আলাদা। প্রথম পর্বে যেখানে বৈধী ভক্তির প্রাধান্য দেখা যায়, চৈতন্য-পরবর্তী পর্বে বৈষ্ণব সাধনায় দেখা যায় রাগানুগা প্রেমাভক্তির প্রাধান্য। পূর্ববর্তী বৈষ্ণব পদাবলিতে গৌড়ীয় বৈষ্ণব দর্শনতত্ত্বের স্পর্শ অথবা ''উজ্জ্বলনীলমণি'' গ্রন্থের ন্যায় বৈষ্ণবীয় অলংকারশাস্ত্রের নিগূঢ় বন্ধন ছিল না; সেই পদ রচিত হয়েছিল কবিদের নিজস্ব প্রাকৃত ও আধ্যাত্মিক চেতনার সংমিশ্রণে, কোথাও আবার সংস্কৃত সাহিত্যের নায়ক-নায়িকা প্রকরণের ছায়া অবলম্বনে। সাহিত্যের ইতিহাসবিদেরা বিভিন্ন প্রমাণের উপর নির্ভর করে জানিয়েছেন, প্রাক্-চৈতন্য যুগে কৃষ্ণকথা ও বৈষ্ণব পদসাহিত্য দেশীয় ভাষায় রূপ দিয়েছিলেন তিনজন শক্তিমান কবি। এঁরা হলেন ''শ্রীকৃষ্ণকীর্তন'' কাব্যের কবি বড়ু চণ্ডীদাস এবং পদাবলির অন্যতম দুই বিশিষ্ট রূপকার বিদ্যাপতি ও চণ্ডীদাস। অবশ্য ভাষা ও জাতিগত বিচারে বিদ্যাপতি বাঙালি ছিলেন না। তিনি পদ রচনা করেন ব্রজবুলি ভাষায়। প্রাক্-চৈতন্য যুগের কৃষ্ণকথা ও পদাবলি সাহিত্য আলোচনায় এই তিন বিশিষ্ট কবির সাহিত্যসম্ভারের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করা যেতে পারে।
==''শ্রীকৃষ্ণকীর্তন'' কাব্য==
আদি মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের প্রাচীনতম নিদর্শন হিসেবে ''শ্রীকৃষ্ণকীর্তন'' কাব্যের দাবি সর্বজনস্বীকৃত। এই কাব্যের রচয়িতা বড়ু চণ্ডীদাস আর কোনও বিচ্ছিন্ন পদ রচনা করেছিলেন কিনা, তা নিয়ে সন্দেহ থাকলেও তিনি যে বাংলা ভাষায় কৃষ্ণকেন্দ্রিক একটি বৃহদায়তন গাথাকাব্য রচনা করেছিলেন, তাতে কোনও সন্দেহ নেই। কাব্যটি নানা কারণে তাৎপর্যপূর্ণ। ১৯০৯ খ্রিস্টাব্দে (১৩১৬ বঙ্গাব্দে) প্রাচীন সাহিত্য-বিশারদ বসন্তরঞ্জন রায় বিদ্বদ্বল্লভ বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুর শহরের নিকটবর্তী কাঁকিল্যা গ্রামে বৈষ্ণব ধর্মগুরু শ্রীনিবাস আচার্যের দৌহিত্র্য-বংশীয় দেবেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ের গোয়ালঘরের মাচা থেকে অযত্নরক্ষিত এই পুথিটি উদ্ধার করেন। সাত বছর পরে ১৩২৩ বঙ্গাব্দে বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ থেকে পুথিটিকে ''শ্রীকৃষ্ণকীর্তন'' নামে সম্পাদনা করে প্রকাশ করেন তিনি। প্রকাশের পর এই গ্রন্থের নানা বিষয় নিয়ে বিতর্কের সূত্রপাত ঘটে।
===কবি: বড়ু চণ্ডীদাস===
''শ্রীকৃষ্ণকীর্তন'' কাব্যের রচয়িতা বড়ু চণ্ডীদাস। মধ্যযুগে চণ্ডীদাস নামধারী আরও কবি ছিলেন বলে গবেষকদের ধারণা। তবে বড়ু চণ্ডীদাস যে অন্যদের থেকে স্বতন্ত্র, সে ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যায়। কাব্যের ভণিতা থেকে কিছু বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছিল। কবি কোথাও নিজেকে ‘অনন্ত বড়ু’, কোথাও ‘অনন্ত বড়ু চণ্ডীদাস’, আবার কোথাও বা কেবল ‘চণ্ডীদাস’ ভণিতা ব্যবহার করেছেন। তার মধ্যে ‘বড়ু চণ্ডীদাস’ ভণিতাই পাওয়া যায় সর্বাধিক সংখ্যায়—২৯৮ বার, এবং ‘চণ্ডীদাস’ ভণিতা আছে ১০৭ বার। এই পুথি আবিষ্কারের অনেক আগে থেকেই বাঙালি পাঠক ও বৈষ্ণব সমাজ চণ্ডীদাসের পদের সঙ্গে পরিচিত ছিল। উনিশ শতকে বৈষ্ণব মহাজনদের রচিত পদগুলির সংকলনও প্রকাশিত হয়। ব্রিটিশ প্রাচ্যতত্ত্ববিদ এইচ. এইচ. উইলসন তাঁর ''স্কেচ অফ দ্য রিলিজিয়াস সেক্টস অফ হিন্দুজ'' গ্রন্থে মন্তব্য করেছিলেন যে, গোবিন্দদাস ও বিদ্যাপতির যৌথ কর্তৃত্বে সংস্কৃত ভাষায় ''কৃষ্ণকীর্তন'' নামে একটি গ্রন্থ প্রণীত হয়েছিল। তথ্যটি বাঙালি লেখকদের কলমে বিকৃত হয়ে এই রূপ নেয় যে, চণ্ডীদাস ''কৃষ্ণকীর্তন'' নামে একটি পুথি রচনা করেছিলেন। তাই ''শ্রীকৃষ্ণকীর্তন'' পুথি আবিষ্কারের পর স্বয়ং আবিষ্কর্তাও বিভ্রান্ত হয়ে কবিকে ‘মহাকবি চণ্ডীদাস’ বলেই উল্লেখ করেন। তাঁর ধারণা ছিল “দীর্ঘকাল যাবৎ চণ্ডীদাস বিরচিত কৃষ্ণকীর্তন”-এর যে অস্তিত্বের কথা তিনি শুনে আসছিলেন, প্রাপ্ত পুথিটি তারই বাস্তব দৃষ্টান্ত। ভণিতায় প্রাপ্ত ‘বড়ু চণ্ডীদাস’ নামটি তিনি উপেক্ষা করে যান। সেই থেকেই চণ্ডীদাস সমস্যার প্রাথমিক সূত্রপাত। দীনেশচন্দ্র সেনও জানান, “কবি চণ্ডীদাস ও কৃষ্ণকীর্তন রচয়িতা যে অভিন্ন ব্যক্তি, তৎসম্বন্ধে আমাদের সংশয় নেই।” যে চণ্ডীদাস যৌবনে তীব্র আদিরসাত্মক রচনায় সিদ্ধহস্ত, পরিণত বয়সে তিনিই আধ্যাত্মিক রসে বিহ্বল। মনীন্দ্রমোহন বসু কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুথিশালা থেকে দীন চণ্ডীদাসের পদ আবিষ্কার করলে সমস্যা আরও তীব্র হয়। কারণ পুরোনো পুথিপত্রে একক চণ্ডীদাসের উল্লেখই পাওয়া যায়। যেমন, কৃষ্ণদাস কবিরাজের ''চৈতন্যচরিতামৃত'' বা সনাতন গোস্বামীর ''বৈষ্ণবতোষিণী'' টীকা ইত্যাদিতে কোথাও বড়ু বা দীন চণ্ডীদাসের নামোল্লেখ নেই।
কিন্তু এত জটিলতা সত্ত্বেও কয়েকটি অকাট্য প্রমাণের বলে পদাবলির চণ্ডীদাস থেকে ''শ্রীকৃষ্ণকীর্তন'' কাব্যের রচয়িতাকে পৃথক করা সম্ভব হয়েছে। ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ''সাহিত্য-পরিষৎ-পত্রিকা''-র ষষ্টিতম ভাগ, দ্বিতীয় সংখ্যায় ‘চণ্ডীদাস সমস্যা’ শীর্ষক প্রবন্ধে বিস্তারিত আলোচনা করে কোন কোন সূত্রে দুই চণ্ডীদাস স্বতন্ত্র তা দেখিয়েছেন। তাঁর সুচিন্তিত সমাধানগুলি হল:
# ''শ্রীকৃষ্ণকীর্তন'' কাব্যে কোথাও ‘দ্বিজ চণ্ডীদাস’ বা ‘দীন চণ্ডীদাস’ ভণিতা নেই।
# বড়ু চণ্ডীদাস রাধার পিতামাতার নাম সাগর ও পদুমা বলে উল্লেখ করেছেন।
# বড়ু চণ্ডীদাস রাধার শাশুড়ি বা ননদের নাম উল্লেখ করেননি। ‘বড়ায়ি’ ছাড়া কোনও সখীকেও সম্বোধন করেননি।
# ''শ্রীকৃষ্ণকীর্তন'' কাব্যে চন্দ্রাবলী রাধারই নামান্তর, পৃথক প্রতিনায়িকা নন।
# বড়ু চণ্ডীদাস কৃষ্ণের কোনও সখার নাম উল্লেখ করেননি।
# বড়ু চণ্ডীদাস সর্বত্র প্রেম অর্থে ‘নেহ’ বা ‘নেহা’ ব্যবহার করেছেন।
# বড়ু চণ্ডীদাস কোথাও রাধার বিশেষণে ‘বিনোদিনী’ এবং কৃষ্ণ অর্থে ‘শ্যাম’ ব্যবহার করেননি।
# ''শ্রীকৃষ্ণকীর্তন'' কাব্যে রাধা গোয়ালিনী মাত্র, রাজকন্যা নন।
# বড়ু চণ্ডীদাস ব্রজবুলি জানতেন বলে প্রমাণ পাওয়া যায় না।
উপরিউক্ত তথ্যগুলি বড়ু চণ্ডীদাসের পৃথক অস্তিত্বের প্রমাণ। আসলে মধ্যযুগের অনেক কবির মতোই বড়ু চণ্ডীদাসও নিজের সম্পর্কে উদাসীন ছিলেন। কেবল তিনি যে ‘বাসলী’ নামে এক দেবীর সেবক ছিলেন, সেই কথাই উল্লিখিত হয়েছে ভণিতায়। এই কবিকে নিয়ে লোক-ঐতিহ্য গড়ে উঠেছে, ছড়িয়ে পড়েছে অনেক জনশ্রুতি। কবির জন্মস্থান বাঁকুড়ার ছাতনা না বীরভূমের নানুর তা নিয়ে বিতর্ক আছে। কারণ, দুই স্থানেই বাসলী দেবীর মন্দির আছে, চণ্ডীদাস ও রামী রজকিনীকে নিয়ে লোকপ্রবাদ প্রচলিত, বছরের নির্দিষ্ট দিনে মেলা ও উৎসব হয়। তবে বাঁকুড়ার দিকেই পাল্লা ভারী। কারণ নানুরের কবি চণ্ডীদাসের ভণিতায় মেলে ‘বাশুলী’ দেবীর নাম এবং ''শ্রীকৃষ্ণকীর্তন''-এ আছে ‘বাসলী’ দেবীর উল্লেখ। এছাড়া গুরুতর প্রমাণ এই কাব্যের ভাষা। বাঁকুড়ার লোকভাষার আনুনাসিক ধ্বনির প্রাধান্য এবং এই অঞ্চলে প্রচলিত গড়া, চুক, মাকড়, ঝঁট, ভোক ইত্যাদি আঞ্চলিক শব্দ ''শ্রীকৃষ্ণকীর্তন'' কাব্যেও পাওয়া যায়। কোনও কোনও গবেষক বাঁকুড়ার উপভাষার রূপতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য নির্ধারণ করে ''শ্রীকৃষ্ণকীর্তন''-এ তার প্রাচীন প্রয়োগ দেখিয়েছেন। তাছাড়া এই পুথিটিও পাওয়া গিয়েছে বাঁকুড়া থেকেই। এছাড়া তালশিক্ষার যে পুথিতে ''শ্রীকৃষ্ণকীর্তন'' কাব্যের কয়েকটি পদের আধুনিক রূপান্তর পাওয়া যায়, সেটিও আবিষ্কৃত হয়েছে এই জেলাতেই।
বড়ু চণ্ডীদাস লোকরীতির কাব্য রচনা করলেও তিনি যে সংস্কৃত ভাষায় সুপণ্ডিত ছিলেন তাতে সন্দেহ নেই। যে অনায়াস দক্ষতায় ভাগবত পুরাণ, বিষ্ণুপুরাণ, পদ্মপুরাণ, ভবিষ্যপুরাণ, ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণ এবং ''গীতগোবিন্দম্'' ও ''কুট্টিনীমতম্'' ইত্যাদি গ্রন্থের তথ্য কাব্যে ব্যবহার করেছেন এবং দেড় শতাধিক সংস্কৃত শ্লোক রচনা করেছেন তাতে সংস্কৃত ভাষা-সাহিত্যে তাঁর প্রগাঢ় ব্যুৎপত্তি প্রমাণিত হয়। ‘বড়ু’ শব্দটি থেকে কেউ কেউ অনুমান করেন, কবি ব্রাহ্মণ ছিলেন। এটি ‘বটু’ শব্দ থেকেই আসতে পারে। বড়ু হলেন শ্রোত্রীয় শ্রেণির ব্রাহ্মণ। রজকিনী-ঘটিত জনশ্রুতিতে তিনি ব্রাহ্মণ বলেই কথিত। ছাতনার বাসলী আসলে খড়্গ-খর্পরধারিণী দক্ষিণাকালী। সেই সূত্রে কবিকে শাক্ত বলে গণ্য করাই সমীচীন। ''শ্রীকৃষ্ণকীর্তন'' কাব্যের ভাষা দেখে ভাষাতাত্ত্বিকেরা একে পঞ্চদশ শতকের মাঝামাঝি সময়ের রচনা বলে শনাক্ত করেছেন। সম্ভবত বড়ু চণ্ডীদাস পঞ্চদশ শতকের প্রথমার্ধেই আবির্ভূত হন।
===কাব্য পরিচয়===
''শ্রীকৃষ্ণকীর্তন'' রাধাকৃষ্ণের প্রণয়মূলক আখ্যানধর্মী কাব্য। ধ্রুপদি প্রেমকাহিনির মধ্যে রাধাকৃষ্ণের প্রেম বিশেষত্ব-মণ্ডিত। রামসীতা বা হরপার্বতীর ন্যায় এই প্রেম স্বকীয়া বা বিবাহোত্তর প্রেম নয়, এই প্রেমের প্রকৃতি পরকীয়া। বস্তুত ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণ ছাড়া আর কোথাও রাধাকৃষ্ণের স্বামী-স্ত্রী সম্বন্ধ দেখানো হয়নি। লোক-ঐতিহ্যে রাধা কৃষ্ণের মাতুলানী। ফলে এই প্রেম নিয়ে অনেক মুখরোচক গালগল্প তৈরি হয়েছিল এক সময়ে। চৈতন্য-পরবর্তী যুগে অবশ্য রাধা তত্ত্বে পরিণত। তখন তিনি কৃষ্ণের স্বকীয়া অন্তরঙ্গা শক্তি। হ্লাদিনীর সারভূত রূপ মহাভাব থেকে রাধার উৎপত্তি ব্যাখ্যাত। কিন্তু বড়ু চণ্ডীদাস প্রাক্-চৈতন্য যুগের কবি। রাধাকে তিনি চিত্রিত করেছেন প্রাকৃত রমণী রূপেই, কোনও আধ্যাত্মিক তত্ত্বের আলোকে নয়। স্বীকার করে নিয়েছেন কৃষ্ণের সঙ্গে তাঁর মাতুলানী-ভাগিনেয় সম্পর্ক। ফলে এই কাব্য লোকরঞ্জনকারী এক কাহিনিতে পর্যবসিত হয়েছে। এর ভাব, ভাষা, আঙ্গিক, পরিবেশ সবই গ্রামীণ। গ্রাম্য রুচির কাছে আত্মসমর্পণ করে পণ্ডিত কবি এই কাব্যে পুরাণকথা ও লোকশ্রুতির মিশ্রণ ঘটিয়েছেন। তবে তাঁর মধ্যে প্রতিভার অভাব ছিল না। সেই প্রতিভায় রাধা, কৃষ্ণ ও বড়ায়ির চরিত্র হয়ে উঠেছে সমুজ্জ্বল। ভাগবত পুরাণে রাধার উল্লেখ পাওয়া যায় না। জয়দেবই প্রথম রাধাকে নিয়ে বৃহদায়তন গাথাকাব্য রচনা করেন। বড়ু চণ্ডীদাসের অন্যতম আদর্শ এই রচনা। তবে রাধা চরিত্র চিত্রণে তিনি যে প্রখর সমাজবাস্তবতা ও সূক্ষ্ম মনস্তাত্ত্বিক জ্ঞানের পরিচয় দিয়েছেন, তা অনবদ্য। দেশীয় ভাষায় এইপ্রকার বৃহদায়তন প্রথম আখ্যানকাব্য রচনার কৃতিত্ব বড়ু চণ্ডীদাসেরই প্রাপ্য।
''শ্রীকৃষ্ণকীর্তন'' কাব্যের আবিষ্কৃত পুথিটির প্রথমাংশ ও শেষাংশ পাওয়া যায়নি। মাঝের কয়েকটি পাতাও অবলুপ্ত। পাওয়া গিয়েছে তেরোটি খণ্ডে বিন্যস্ত মোট ৪১৮টি পদ। কবি প্রথম বারোটি খণ্ডের নাম দিয়েছেন যথাক্রমে (১) জন্মখণ্ড, (২) তাম্বুলখণ্ড, (৩) দানখণ্ড, (৪) নৌকাখণ্ড, (৫) ভারখণ্ড, (৬) ভারখণ্ডান্তর্গত ছত্রখণ্ড, (৭) বৃন্দাবনখণ্ড, (৮) যমুনান্তর্গত কালীয়দমনখণ্ড, (৯) যমুনান্তর্গত বস্ত্রহরণখণ্ড, (১০) যমুনান্তর্গত হারখণ্ড, (১১) বাণখণ্ড ও (১২) বংশীখণ্ড। ত্রয়োদশ খণ্ডটির শেষাংশ পাওয়া যায়নি বলে এই খণ্ডের কবিকৃত নামটি জানা যায় না। সম্পাদক বসন্তরঞ্জন এই খণ্ডের নামকরণ করেছেন ‘রাধাবিরহ’। তেরোটি খণ্ডে অখণ্ড সুস্পষ্ট একটি গল্প বলা হয়েছে। গল্প এগিয়েছে কবির বিবৃতি এবং আখ্যানের মুখ্য তিন চরিত্রের কথোপকথনের মধ্যে দিয়ে। গল্পটি সংক্ষেপে এইরকম:
অত্যাচারী কংসের পীড়নে ব্যথিতা বসুন্ধরার আর্তিতে স্বর্গের দেবতারা একত্রিত হয়ে সিদ্ধান্ত নিলেন যে, কংসের বিনাশের জন্য নারায়ণ ‘কৃষ্ণ’ নাম নিয়ে বসুদেবের গৃহে দেবকীর উদরে জন্মগ্রহণ করবেন। তাঁর সম্ভোগের জন্য লক্ষ্মীও প্রেরিত হলেন রাধা রূপে। তার পিতা সাগর, মাতা পদুমা বা পদ্মা। দেবগণের ইচ্ছানুসারে রাধার স্বামী হলেন নপুংসক আইহন। বালিকাবধূ রাধার পরিচর্যার জন্য এলেন পদ্মার বুড়ি পিসি বড়ায়ি। গোপরমণী রাধাকে দুধ-দই বেচতে মথুরার হাটে যেতে হয়। একদা রাধা বড়ায়ির দৃষ্টিপথের বাইরে চলে যায়। তার রূপ-গুণ বর্ণনা করে ব্রজের রাখাল নন্দগোপসুত কৃষ্ণের কাছে বড়ায়ি রাধার সন্ধান জানতে চাইল। সেই রূপের কথা শুনে কৃষ্ণের মনে রাধাসঙ্গের বাসনা জেগে উঠল। বড়ায়ির হাতে তাম্বুল অর্থাৎ পান দিয়ে প্রেমের প্রস্তাব জানালেন কৃষ্ণ। কিন্তু বিবাহিতা রাধার মনে তখনও স্বামী-সংস্কার তীব্র। পরপুরুষের প্রতি বিরাগ সে ক্রুদ্ধ হয়ে তাম্বুলে লাথি মেরে বড়ায়িকে অপমান করে তাড়িয়ে দিল। অপমানিতা বড়ায়ি এসে কৃষ্ণের কাছে সব জানিয়ে এর প্রতিবিধান করতে বলল। দুজনে পরামর্শ করল, যমুনার ঘাটে কৃষ্ণ দানী সেজে বসবে এবং দানের ছলে দুধ-দই নষ্ট করবে, হার কেড়ে নেবে, কাঁচুলি ছিঁড়বে। পরামর্শ অনুযায়ী কুতঘাটে বসে রইল কৃষ্ণ। রাধা সখীদের নিয়ে এল সেই ঘাটে। কৃষ্ণ দানী হয়ে মহাদান চেয়ে বসল। শুধু পণ্যদ্রব্য পার করার কড়ি নয়, রাধার অঙ্গের জন্যও ভিন্ন ভিন্ন পরিমাণ কড়ি দাবি করল সে। কড়ি না দিলে দিতে হবে আলিঙ্গন। কিন্তু রাধার পক্ষে তা মেনে নেওয়া কখনই সম্ভব নয়। শুরু হল বাগবিতণ্ডা। রাধা কৃষ্ণকে নিবৃত্ত করতে চায় মাতুলানী সম্পর্কের কথা তুলে। কিন্তু কৃষ্ণের বক্তব্য “নহসি মাউলানী রাধা সম্বন্ধে শালী”। কৃষ্ণ রাধাকে পূর্বজন্মের কথা স্মরণ করিয়ে দিতে চাইলেও রাধা সেসব বিস্মৃত। শেষে রাধার বাধাদান সত্ত্বেও কৃষ্ণ তার সঙ্গে বনের মধ্যে মিলিত হল। আবারও বড়ায়িয়ের কৌশলে রাধা এল যমুনার ঘাটে। একাকিনী রাধাকে যমুনা পার করার সময় কৃষ্ণ মাঝ-নদীতে ঝড় তুলে রাধার মনে ভীতি সঞ্চার করল। ভয়ার্ত রাধা বাঁচার জন্য কৃষ্ণকে জড়িয়ে ধরতে বাধ্য হল। সেই সুযোগে নদীমধ্যে দুজনের মিলন ঘটল। এতদিনে রাধা বুঝতে পেরেছে কৃষ্ণের দুর্বলতা কোথায়। তাই সে এবার নিজেই অগ্রণী হয়ে মথুরার হাটের জন্য বড়োসড়ো পসরা সাজালো। মথুরার পথে যেতে কৃষ্ণকে ‘সুরতি’ দেওয়ার লোভ দেখিয়ে বইয়ে নিল দুধ-দইয়ের ভার। একইভাবে দেহলোভী কৃষ্ণকে দিয়ে প্রচণ্ড রোদে ছাতাও বহন করালো রাধা। অতঃপর বৃন্দাবনে মহাসমারোহে ঘটল বসন্তের আবির্ভাব। রাধা এবার আড়চোখে চেয়ে ও নানা অঙ্গভঙ্গি করে কৃষ্ণের কামনা জাগিয়ে তুলল। ষোলোশো গোপিনী সঙ্গে বিলাস সমাপ্ত করে কৃষ্ণ রাধার কাছে এসে দেখল সে অভিমানাহত হয়ে বিষণ্ণ মনে নীরবে বসে আছে। কৃষ্ণ মধুর বচনে রাধার মান ভাঙিয়ে লিপ্ত হল সঙ্গমে। রাসলীলায় কৃষ্ণের উৎসাহ বৃদ্ধি পেতে জলক্রীড়ার কথা চিন্তা করে কালীদহের বিষাক্ত জল বিষমুক্ত করতে দহে নেমে পড়ল কৃষ্ণ। বিষের তীব্রতায় কৃষ্ণ অচৈতন্য হয়ে পড়লে নন্দ, যশোদা, বলরাম প্রমুখ আত্মীয়েরা বিলাপ করতে লাগলেন। কৃষ্ণের বিপদ অনুমান করে যাবতীয় লোকলজ্জা ত্যাগ করে রাধা এবার সর্বসমক্ষে ‘পরাণপতি’ বলে কেঁদে উঠল। অবশেষে কালীয় নাগকে দমন করে কৃষ্ণ উঠে এল জল থেকে। একদিন রাধা সখীদের নিয়ে যমুনায় জল ভরতে এসে কৃষ্ণের সঙ্গে জলকেলিতে মত্ত হল। সেই সুযোগে কৃষ্ণ গোপিনীদের বস্ত্রহরণ করল। রাধার অনুনয়ে কৃষ্ণ বস্ত্র ফিরিয়ে দিলেও তার বক্ষহারটি লুকিয়ে রাখল। হার না পেয়ে রাধা এবার গিয়ে অনুযোগ জানালো কৃষ্ণজননী যশোদার কাছে। যশোদা কৃষ্ণকে ভর্ৎসনা করলে অপমানিত কৃষ্ণ ফুলধনু দিয়ে রাধাকে বাণাহত করে মূর্চ্ছিত করল। কিন্তু এবার বড়ায়ি কৃষ্ণের আচরণে ক্ষুব্ধ হল। সে তিরস্কার করে রাধার প্রাণ ফিরিয়ে দিতে বলল। তখন কৃষ্ণের হস্তস্পর্শে রাধার চৈতন্য হল। পরিশেষে বৃন্দাবনে রাধাকৃষ্ণের পুনর্মিলন ঘটল। এখন আর কৃষ্ণের মনে রাধার প্রতি পূর্বের অদম্য আসক্তি কিছুই নেই। বরং শারীরিক মিলনে রাধার মনে জাগ্রত হয়েছে অপূর্ব সুখোন্মাদনা। সে এখন কৃষ্ণ-অন্তপ্রাণ। তার আর কোনও লজ্জা, ভয় বা সতীত্বের বন্ধন নেই। কৃষ্ণ এবার একটি সুন্দর মোহন বাঁশি গড়িয়ে কদমতলায় বসে একমনে বাজাতে থাকে। তার সেই বাঁশির সুর রাধার চিত্তকে বিপর্যস্ত করে দেয়। সে ঘর-সংসার ভোলে, তার গৃহকর্ম নষ্ট হয়, মনে মনে ভাবে “দাসী হআঁ তোর পাএ নিশিবোঁ আপনা”। বড়ায়িকে সে বারবার বলে কৃষ্ণকে তার কাছে এনে দিতে। বড়ায়ি বিপরীত কথা বলে রাধাকে নিরস্ত করতে চায়। কিন্তু রাধার মন কোনও যুক্তিতেই বশীভূত হয় না। তখন দুজনে মিলে কৃষ্ণের সন্ধানে বৃন্দাবনে যায়। সেখানে কৃষ্ণের দর্শন মেলে না। রাতে শয্যায় শায়িত রাধার কানে কৃষ্ণের বাঁশির শব্দ এসে প্রবেশ করে। সে নিদ্রিত স্বামীকে ফেলে একাকিনী কৃষ্ণমিলনের উদ্দেশ্যে পথে বেরিয়ে পড়ে। কিন্তু কোথাও কৃষ্ণকে দেখতে না পেয়ে পথেই মূর্চ্ছিত হয়ে পড়ে রাধা। বড়ায়ি তার মূর্চ্ছাভঙ্গ করে পরামর্শ দেয় কৃষ্ণের বাঁশি চুরি করতে। তাই-ই করে রাধা। বাঁশি বিহনে কৃষ্ণ ব্যাকুলভাবে বিলাপ করতে থাকে। অবশেষে বড়ায়ির মধ্যস্থতায় কৃষ্ণ রাধার কাছে করজোড়ে মিনতি করলে রাধা বাঁশি ফিরিয়ে দেয়। রাধার সকল অপরাধ ক্ষমা করে কৃষ্ণ। বেশ কয়েক মাস কেটে গেলেও শর্ত অনুসারে কৃষ্ণ রাধাকে আর দেখা দেয় না। এবার কৃষ্ণ বিহনে রাধার মনে হতে থাকে “এ ধন যৌবন বড়ায়ি সবই অসার”। সে বারবার বড়ায়িকে কৃষ্ণ এনে দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানায়। বড়ায়ি তাকে পরামর্শ দেয় কদমতলায় কিশলয় শয্যা রচনা করে প্রতীক্ষা করতে। কিন্তু তাতেও কৃষ্ণের দর্শন মেলে না। অতঃপর তারা বৃন্দাবনে প্রবেশ করে গোচারণরত কৃষ্ণের দেখা পায়। রাধা তখন কাতরভাবে তার কাছে অতীত অপরাধের জন্য ক্ষমাপ্রার্থনা করে। তবুও কৃষ্ণের মন গলে না। অবশেষে বড়ায়ির অনুরোধে কৃষ্ণ রাধার সঙ্গে মিলনে সম্মত হয়। বিহারের পর শ্রান্ত হয়ে কৃষ্ণের উরুতে মাথা রেখে রাধা ঘুমিয়ে পড়লে কৃষ্ণ বড়ায়িকে ডেকে তার হাতে রাধার রক্ষণাবেক্ষণের ভার দিয়ে মথুরায় চলে যায়। নিদ্রাভঙ্গের পর কৃষ্ণকে দেখতে না পেয়ে আবার বিষণ্ণ হয়ে পড়ে রাধা। রাধার বিলাপে অস্থির হয়ে বড়ায়ি মথুরায় গিয়ে কৃষ্ণের কাছে রাধার কথা জানায়। কৃষ্ণের বক্তব্য, সে প্রগলভা রাধার কাছে যাবে না। তার মুখদর্শন করতেও সে ইচ্ছুক নয়। আর তাছাড়া সে মথুরায় এসেছে দুরাচারী কংশকে নাশ করতে। তার আর কোনওমতেই বৃন্দাবনে ফিরে যাওয়া চলে না। এরপরই পুথি খণ্ডিত। যতদূর মনে হয়, কবি রাধা ও কৃষ্ণের বিচ্ছেদেই কাব্যটি সমাপ্ত করেছিলেন।
মধ্যযুগীয় কাব্যে প্রক্ষিপ্তি একটি বড়ো সমস্যা। সাহিত্যের সব শাখাতেই কম-বেশি এটি দেখা যায়। যে যুগের লেখকের কর্তৃত্ব সঠিকভাবে চিহ্নিত হত না, সেই যুগে একের রচনায় অন্যের হস্তক্ষেপ স্থান পেয়ে যেত নির্বিরোধে। ''শ্রীকৃষ্ণকীর্তন'' কাব্যের প্রক্ষেপ নিয়ে প্রথম সংশয় জ্ঞাপন করেন যোগেশচন্দ্র রায় বিদ্যানিধি। ‘বড়ু’ ও ‘বাসলী’-বিহীন ভণিতাগুলিকে তিনি অন্যের রচনা বলে মনে করেন। দানখণ্ডের তিনটি পদে ড. সুকুমার সেন প্রক্ষেপ দেখেছেন। আবার কেউ কেউ গায়েনের প্রক্ষেপ লক্ষ্য করেছেন কাব্যের নানা স্থানে। প্রখ্যাত সমালোচক বিমানবিহারী মজুমদারের মতে, সমগ্র ‘রাধাবিরহ’ অংশটিই প্রক্ষিপ্ত। তিনি মোট ছয়টি যুক্তি উপস্থাপিত করেছেন। কিন্তু যুক্তিগুলি যে ততটা প্রমাণনির্ভর নয়, সে বিষয়ে একাধিক গবেষক প্রতি-যুক্তি দিয়েছেন। বিশেষত ‘রাধাবিরহ’ যে কাব্যের অবিচ্ছেদ্য অংশ তার প্রমাণ রয়েছে কাহিনির অভ্যন্তরীণ কাল-পরম্পরায়, কাব্যের গঠনে, রাধার বয়সের অগ্রহতির সাক্ষ্যে, চরিত্রের ক্রম-পরিণামে এবং অবশ্যই কবির ক্রমবিকশিত প্রতিভার স্তরোন্নয়নে। কাব্যের সূচনায় ‘এগার-বরিষ’-এর রাধা এখানে পূর্ণ যুবতীতে পরিণত, কামুক কৃষ্ণ এই পর্যায়ে ভোগতৃপ্ত হয়ে ‘গততৃষ্ণ’ কৃষ্ণে পর্যবসিত। কবি যে ক্রমশ ভাবগভীরতার পথে এগিয়ে এসেছেন, তার প্রমাণ আছে বংশীখণ্ডেই। এই খণ্ডেরই প্রত্যাশিত পরিণাম দেখা যায় ‘রাধাবিরহ’ অংশে। যে গীতিকাব্যিক মূর্চ্ছনার সূচনা হয়েছিল “কেনা বাঁশী বাএ বড়ায়ি কালিনী নঈ কূলে” ইত্যাদি পদে, তার সার্থক পরিণতি ঘটল “দিনের সুরুজ পোড়াআঁ মারে রাতিহো এ দুখ চান্দে” ইত্যাদিতে। রাধার চারিত্রিক বিবর্তনে সম্পূর্ণতা দেখানোর সূত্র ‘রাধাবিরহ’ এই কাব্যেরই অবিচ্ছেদ্য এক অঙ্গ। অন্য কোনও কবির হাত থেকে পূর্বের কাহিনি, চরিত্র, ভাষা ইত্যাদির এতখানি সঙ্গতিপূর্ণ ধারাবাহিকতা আশা করা যায় না। অতএব কিছু ক্ষেত্রে মৃদু সংশয় থাকলেও কাব্যের অন্তর্বর্তী প্রমাণে ‘রাধাবিরহ’ যে মূল কাব্যেরই অবিচ্ছেদ্য অংশ তা স্বীকার করে নেওয়া যায়। এই অংশটি না থাকলে বড়ু চণ্ডীদাসের কবিপ্রতিভার সামগ্রিক মূর্তিটি অনুধাবন করা যেত না।
===গ্রন্থনাম বিচার===
চর্যাপদের পুথির গ্রন্থনাম নিয়ে যেমন বিতর্ক দেখে দিয়েছিল, তেমনই বিতর্ক দেখা দেয় ''শ্রীকৃষ্ণকীর্তন'' পুথির নামকরণকে কেন্দ্র করেও। ''তেঙ্গুর'' তালিকা থেকে প্রাপ্ত প্রমাণের ভিত্তিতে চর্যাপদ সম্পর্কে একটি যুক্তিসিদ্ধ সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া যায়, কিন্তু ''শ্রীকৃষ্ণকীর্তন'' কাব্যের ক্ষেত্রে তেমন কোনও সম্ভাবনা নেই। কারণ, পরবর্তীকালের কোনও গ্রন্থে এই কাব্যের নামোল্লেখও করা হয়নি। প্রকৃত সমস্যার সূত্রপাত আবিষ্কৃত পুথিটির প্রথমাংশ ও শেষাংশের পাতা না পাওয়ায়। বইয়ের সূচনায় এবং পুথির শেষে সমাপ্তিসূচক পুষ্পিকাতেই গ্রন্থনাম পাওয়া যায়। এই দুই অংশ না থাকায় পুথিটি থেকে আবিষ্কর্তা ও সম্পাদক বসন্তরঞ্জন কোনও নাম পাননি। গ্রন্থাকারে প্রকাশ করতে গিয়ে তিনি সম্পাদিত গ্রন্থের নামকরণ করেছিলেন ''শ্রীকৃষ্ণকীর্তন''। পূর্বাপর তথ্য ঘেঁটে দেখা যায়, প্রাচ্যতত্ত্ববিদ উইলসনের দেওয়া একটি ভ্রান্ত তথ্যের উপর দাঁড়িয়ে রয়েছে এই নামকরণের বিষয়টি। তিনি গোবিন্দদাস ও বিদ্যাপতি কর্তৃক যৌথভাবে রচিত ''কৃষ্ণকীর্তন'' নামে এক সংস্কৃত কাব্যের কথা জানিয়েছিলেন। সেই তথ্য প্রথম বিকৃত হয় জগদ্বন্ধু ভদ্রের ‘গোবিন্দদাস’ প্রবন্ধে (''বান্ধব'', শ্রাবণ ১২৮২ সংখ্যা)। তিনি লেখেন, “উইলসন সাহেব কৃত উপাসক সম্প্রদায় গ্রন্থে লিখিত আছে যে, চণ্ডীদাস ও গোবিন্দদাস উভয়ে মিলিত হইয়া কৃষ্ণকীর্তন প্রণয়ন করেন।” এই সংবাদই সংক্ষিপ্তাকারে প্রকাশ করেন রমণীমোহন মল্লিক, ক্ষীরোদচন্দ্র রায়চৌধুরী, ত্রৈলোক্যনাথ ভট্টাচার্য, ব্রজসুন্দর সান্যাল প্রমুখ প্রাবন্ধিকেরা। ক্রমে ''কৃষ্ণকীর্তন'' নামক কাল্পনিক গ্রন্থটির একক রচয়িতায় পরিণত হন চণ্ডীদাস। বড়ু চণ্ডীদাসের পুথি আবিষ্কৃত হওয়ার পর বসন্তরঞ্জনও ভেবেছিলেন যে, তিনি সেই হারিয়ে-যাওয়া বহুশ্রুত গ্রন্থটিই আবিষ্কার করেছেন। তাই অগ্রপশ্চাৎ বিবেচনা না করে গ্রন্থটির নাম দেন ''শ্রীকৃষ্ণকীর্তন'' এবং লেখকের নাম হিসেবে উল্লেখ করেন ‘মহাকবি চণ্ডীদাস’। গ্রন্থপ্রকাশের এগারো বছর পরে ১৩৩৪ বঙ্গাব্দে গ্রন্থনাম নিয়ে প্রথম সংশয় প্রকাশ করেন রমেশ বসু। ''সাহিত্য-পরিষৎ-পত্রিকা''-য় প্রকাশিত ‘চণ্ডীদাসের শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’ প্রবন্ধে তিনি এও বলেন যে, “এই গ্রন্থ সংস্কৃত ও লৌকিক পুরাণের সমবায়ে গঠিত বলিয়া ইহাও পুরাণ আখ্যা পাইবার সম্পূর্ণ উপযুক্ত। বাস্তবিকই বাঙ্গালায় কৃষ্ণলীলা বিষয়ক যদি কোন মৌলিক পুরাণ থাকে তাহা এই শ্রীকৃষ্ণকীর্তন।” ১৩৩৭ বঙ্গাব্দে ''বিশ্ববাণী'' পত্রিকায় দক্ষিণারঞ্জন ঘোষ ‘চণ্ডীদাসের শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’ নামক আর-একটি প্রবন্ধে ''কৃষ্ণকীর্তন'' নামের কোনও ভিত্তি পাওয়া যায় না বলে মন্তব্য করে প্রশ্ন তোলেন, “শুধু বসন্তবাবুর ধারণা এবং শোনা কথার মূল্য কি?” চার বছর পরে নলিনীনাথ দাশগুপ্ত ''বিচিত্রা'' পত্রিকায় ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তনের সামাজিক তথ্য’ প্রবন্ধে নানা দিক আলোচনা করে পুথিটির ''কৃষ্ণমঙ্গল'' নামকরণের পক্ষপাতী হন। ১৩৪২ বঙ্গাব্দের যোগেশচন্দ্র রায় বিদ্যানিধি ''প্রবাসী'' পত্রিকায় ‘চণ্ডীদাস চরিত’ প্রবন্ধে মন্তব্য করেন, “এক মস্ত ভুলও হয়ে গেছে, রাধাকৃষ্ণলীলার ‘কৃষ্ণকীর্তন’ নাম হয়ে গেছে।” উপরিউক্ত সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দিতে ১৩৪২ বঙ্গাব্দের আশ্বিন মাসের ''প্রবাসী'' পত্রিকায় সম্পাদক বসন্তরঞ্জন লেখেন ‘চণ্ডীদাস চরিতে সংশয়’। সেখানে তিনি ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’ নামকরণের তাৎপর্য ব্যাখ্যায় প্রয়াসী হন। কিন্তু তাঁর মত গবেষকদের মধ্যে ততটা গৃহীত হয়নি।
নামকরণের সমস্যাটি আরও জটিল হয় যখন ১৩৪২ বঙ্গাব্দে বসন্তরঞ্জন ''শ্রীকৃষ্ণকীর্তন'' কাব্যের দ্বিতীয় সংস্করণে পুথির মধ্যে প্রাপ্ত একটি চিরকুট প্রকাশ করেন। তাতে লেখা ছিল: “শ্রীশ্রী রাধাকৃষ্ণঃ।। শ্রীকৃষ্ণসন্দর্ব্বের ৯৫ পচানই পত্র হইতে একসও দস পত্র পর্য্যন্ত একুন ১৬ শোল পত্র শ্রীকৃষ্ণ পঞ্চাননে শ্রীশ্রী মহারাজা হুজুরকে লইয়া গেলেন পুনশ্চ আনিয়া দিবেন—সন ১০৮৯”। প্রাচীন পুথির মধ্যে এই ধরনের রসিদ পাওয়ায় এমন ধারণা হওয়া স্বাভাবিক যে, রসিদটি উক্ত গ্রন্থ-সংক্রান্ত। ফলে নামকরণকে কেন্দ্র করে স্পষ্টত দুটি দল তৈরি হয়ে গেল। একদল পুথিটির ''শ্রীকৃষ্ণকীর্তন'' নাম রাখার পক্ষপাতী, অন্য দলের মতে এর নাম হওয়া উচিত ''শ্রীকৃষ্ণসন্দর্ব্ব''। দ্বিতীয় দলের মধ্যে ছিলেন মুহম্মদ শহীদুল্লাহ, বিজনবিহারী ভট্টাচার্য, অসিতকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় ও অমিত্রসূদন ভট্টাচার্য। এর পাশাপাশি অধ্যাপক সত্যব্রত দে ১৩৮৬-৮৭ বঙ্গাব্দের ''রবীন্দ্রভারতী পত্রিকা''-য় একটি কূটতর্ক তুললেন, “গ্রন্থটির সঠিক নাম কি শ্রীকৃষ্ণকীর্তন না কৃষ্ণকীর্তন?... যে চারটি সাক্ষ্যের উপর নির্ভর করে বসন্তরঞ্জন চণ্ডীদাস-রচিত একটি পূর্ণাঙ্গ কাব্যের অস্তিত্বে দৃঢ়নিশ্চয় হয়েছিলেন তাদের প্রত্যেকটিতেই গ্রন্থনাম কৃষ্ণকীর্তনরূপে লিখিত।”
নামকরণ সমস্যার নিরিখে কয়েকটি যুক্তি গ্রহণ করা যেতে পারে। ‘কীর্তন’ শব্দটির অর্থ অনেক। হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ''বঙ্গীয় শব্দকোষ''-এ ‘কীর্তন’ বলতে ঘোষণা, কথন, বর্ণন, বিবরণ, গুণকীর্তন, স্তবন ইত্যাদি অর্থ নির্দেশিত হয়েছে। ‘কীর্তন’ শব্দটির বৈষ্ণবীয় অর্থ-তাৎপর্য থেকে বের করে এনে যদি প্রয়োগ করা যায়, তাহলে ''শ্রীকৃষ্ণকীর্তন'' নামটি অযোগ্য হয় না। যেহেতু উইলসন তাঁর উল্লিখিত গ্রন্থের নামে ‘শ্রী’ শব্দটি যুক্ত করেননি এবং বাঙালি গবেষকেরাও ''কৃষ্ণকীর্তন'' নামটিই উল্লেখ করেছেন, সেহেতু সত্যব্রত দে-র মতে বইটির নাম ''কৃষ্ণকীর্তন'' হওয়াই স্বাভাবিক। কিন্তু এই যুক্তির গলদ হল এই যে, উইলসন যে সংস্কৃত ''কৃষ্ণকীর্তন''-এর কথা বলেছেন, তার লেখক গোবিন্দদাস ও বিদ্যাপতি—চণ্ডীদাস নন। একটি ভুল ধারণার উপর নির্ভর করে গড়ে ওঠে এই মতটিকে অযথা গুরুত্ব দেওয়া অর্থহীন। ''শ্রীকৃষ্ণসন্দর্ব্ব'' নামটিও এই প্রসঙ্গে বিচার্য। প্রাপ্ত রসিদটি আবিষ্কৃত পুথির মধ্যে পাওয়া গিয়েছে বটে, কিন্তু সেই রসিদে বর্ণিত তথ্য যে উক্ত পুথি-সংক্রান্ত হবেই এর কোনও নিশ্চয়তা নেই। রসিদে বলে হয়েছে যে, ''শ্রীকৃষ্ণসন্দর্ব্ব'' নামক একটি পুথির ৯৫ থেকে ১১০ পত্র শ্রীকৃষ্ণ পঞ্চানন নামে এক ব্যক্তি মহারাজের জন্য ধার করে নিয়ে গেলেন ১০৮৯ সালে অর্থাৎ ১৬৮২ খ্রিস্টাব্দে। তারপর মাস দুয়েকের মধ্যেই পাতাগুলি ফেরৎ এল। ফেরৎ আসার পর খোয়া না যাওয়ার সম্ভাবনা, যেহেতু গ্রন্থাগারটিতে পুথি সংরক্ষণের ক্ষেত্রে যথেষ্ট সাবধানতা নেওয়া হত এবং যার প্রমাণ এই রসিদ। অথচ বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, ধার নেওয়া পাতাগুলির মধ্যে ৯৮/১ এবং ১০৪-১১০ পত্র অর্থাৎ মোট সাড়ে সাতটি পাতা নিখোঁজ। তাহলে অনুমান করতে হয়, অন্য কোনও পুথির ওই ১৬টি পত্র ধার নেওয়া হয়েছিল, যার রসিদটি কোনওভাবে চলে এসেছে এই পুথির মধ্যে। অধ্যাপক তারাপদ মুখোপাধ্যায় এই ক্ষেত্রে অকাট্য যুক্তি দিয়ে বলেছেন যে, জীব গোস্বামী রচিত একটি বিখ্যাত গ্রন্থের নাম ''শ্রীকৃষ্ণসন্দর্ভ''। এটি গৌড়ীয় বৈষ্ণব সমাজের একটি মূল্যবান গ্রন্থ। বিষ্ণুপুরে শ্রীনিবাস আচার্য রাজগুরু হিসেবে প্রভূত সম্মান পেয়েছিলেন ষোড়শ ও সপ্তদশ শতকে। বৃন্দাবনের শিক্ষায় শিক্ষিত শ্রীনিবাসের সাক্ষাৎ গুরু ছিলেন জীব গোস্বামী। বিষ্ণুপুরে বৃন্দাবনের গোস্বামীদের গ্রন্থ প্রচারে একদা মুখ্য ভূমিকা গ্রহণ করেন শ্রীনিবাস। ছোটো চিরকুটটির মধ্যে যে ‘আচার্য প্রভু’-র কথা আছে, তিনি এই শ্রীনিবাস আচার্য ছাড়া আর কেউ নন। তাই তারাপদ মুখোপাধ্যায় মনে করেন, বিষ্ণুপুরের রাজা কোনও কারণে জীব গোস্বামীর ''শ্রীকৃষ্ণসন্দর্ভ'' গ্রন্থেরই ১৬টি পাতা ধার নিয়েছিলেন এবং পরে ফেরৎ পাঠিয়েছিলেন। অতএব বসন্তরঞ্জনের প্রাপ্ত পুথিটির নাম ''শ্রীকৃষ্ণসন্দর্ব্ব'' হতে পারে না। তবু এই বিষয়ে কোনও পাথুরে প্রমাণ না পাওয়া পর্যন্ত ''শ্রীকৃষ্ণকীর্তন'' নামটি গ্রহণ করা ছাড়া অন্য কোনও উপায় নেই।
===পৌরাণিক প্রভাব ও মৌলিকতা===
ভাগবতের কৃষ্ণকে অবলম্বন করে ''শ্রীকৃষ্ণকীর্তন'' কাব্যের কাহিনি গড়ে উঠলেও এই কাব্যকে কোনও সমালোচকই অনুবাদ কাব্য বলে নির্দেশ করেননি। অথচ অনুবাদের ক্ষেত্রে যেমন সংস্কৃত আদর্শ থেকে আখ্যানভাগ, চরিত্র, ভাষা ইত্যাদি গৃহীত হয়ে থাকে, ''শ্রীকৃষ্ণকীর্তন''-এর কয়েকটি ক্ষেত্রে তাই ঘটেছে। আসলে যে ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক প্রয়োজনে অনুবাদ সাহিত্যের জন্ম বড়ু চণ্ডীদাস সম্ভবত তার তাগিদ অনুভব করেননি। প্রাতিষ্ঠানিক বৈষ্ণবধর্মের প্রতি তাঁর তেমন আনুগত্য ছিল না বলেই মনে হয়। ‘বাসুলী-সেবক’ অভিধাটিই চিনিয়ে দেয় তাঁর নির্দিষ্ট ধর্মবিশ্বাসকে। তাই সেকালের শাক্ত-বৈষ্ণবের দ্বন্দ্বময় প্রেক্ষাপটে এই কাব্যকে উপদলীয় ধর্মবিদ্বেষের উৎসৃষ্টি বলে মনে হতেই পারে। কাব্যের নানা স্থানে তার প্রমাণও আছে।
''শ্রীকৃষ্ণকীর্তন'' কাব্যের নায়ক সম্পর্কে সকলেই প্রায় একবাক্যে স্বীকার করেন যে, এই কৃষ্ণ আদৌ বৈষ্ণবদের আরাধ্য দেবতা নন। পুরাণপুরুষ কৃষ্ণের আবরণে কবি আসলে প্রকাশ করেছেন নারীদেহ-লোলুপ এক ‘কামী’ গ্রাম্য গোপযুবককে, যে ছলনা, প্রতারণা ও বলপ্রয়োগ করে এক অনিচ্ছুক বিবাহিতা নারীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তুলে ‘গততৃষ্ণ’ হয়ে নির্দ্বিধায় তাকে পরিত্যাগ করে চলে যায়। এমন অমানবিক পাশবিক চরিত্র দেবতার হতে পারে না। অর্বাচীন পুরাণে বর্ণিত রাধাও যেন রক্তমাংসের নারীতে পরিণত হয়েছেন এই কাব্যে, যার মনস্তাত্ত্বিক বিবর্তন ঘটেছে স্বামী-সংস্কারে আবদ্ধা কুলবধূ থেকে পরপুরুষের প্রেমসন্তপ্তা স্বাধীনভর্তৃকা প্রেমিকাতে। উল্লেখ্য, কবি একবারের জন্যও ‘দেবতা’ কৃষ্ণের কাছে প্রণত হচ্ছেন না, যেমন হয়েছিলেন তাঁর আদর্শ জয়দেব। পাঠক যেন তাঁর অঙ্কিত কৃষ্ণকে সম্পূর্ণ স্ব-কল্পিত মনে না করে, তাই যেন কবি প্রচলিত পুরাণের সঙ্গে কৃষ্ণ চরিত্রের সম্পর্ক দেখিয়ে দিয়েছেন। এই উদ্দেশ্যে বিভিন্ন পুরাণ-বচন উদ্ধৃত করে কবি তাঁর বর্ণিত গল্পের সঙ্গে পৌরাণিকতার একটি প্রচ্ছন্ন যোগসূত্র স্থাপন করেছেন। সেই সূত্রেই এসেছে ভাগবত পুরাণ, পদ্মপুরাণ, বিষ্ণুপুরাণ ও ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণে সন্নিবেশিত নানা তথ্য। বিশেষ করে জন্মখণ্ড বর্ণনায় অনেকগুলি পুরাণ থেকে যে তিনি আখ্যানবস্তু আহরণ করে নিজের মতো করে সেগুলি বিন্যস্ত করেছেন তার প্রমাণ রয়েছে আখ্যান-বিন্যাসে। জন্মখণ্ডে কবি রচিত প্রথম সংস্কৃত শ্লোকটি হল:
<poem>
:: পৃথুভারব্যথাং পৃথ্বী কথয়ামাস নির্জ্জরান্।
:: ততঃ সরভসং দেবাঃ কংসধ্বংসে মনো দধুঃ।।
</poem>
এই প্রসঙ্গ বিষ্ণুপুরাণ, পদ্মপুরাণ ও ভাগবত পুরাণেও আছে। তবে প্রত্যেকটি কাহিনিই কম-বেশি স্বতন্ত্র। যেমন, বিষ্ণুপুরাণে পৃথিবীকে বহুভারে পীড়িতা হয়ে সুমেরু পর্বতে দেবতাদের কাছে গিয়ে নিজের বেদনার কথা বিবৃত করতে দেখা যায়। পদ্মপুরাণে কংসের নিপীড়নের প্রসঙ্গ উত্থাপিত হয়েছে। ভাগবত পুরাণে আছে বসুমতীর গোরূপ ধারণ করে ব্রহ্মার কাছে গিয়ে দুঃখ নিবেদনের সংবাদ। পদ্মপুরাণের উত্তরখণ্ডে আছে দেবকীর সপ্তম পুত্রকে রোহিণীর গর্ভে মায়া দ্বারা সংক্রামিত করে অষ্টম গর্ভে নারায়ণের নিজে আবির্ভূত হওয়ার অঙ্গীকার। বড়ু চণ্ডীদাসও সেই তথ্য পরিবেশন করেছেন। এছাড়া নারায়ণ কর্তৃক দেবতাদের হস্তে কৃষ্ণ ও শুভ্রবর্ণের কেশ প্রদানের প্রসঙ্গও বিভিন্ন পুরাণ থেকে গৃহীত। অবশ্য এই প্রসঙ্গে মনে রাখা দরকার যে, রাধার জন্মকাহিনি বর্ণনায় কবি পুরাণের পথ পরিহার করে স্বাধীন কল্পনার আশ্রয় নিয়েছেন। নারদের যে রূপ ''শ্রীকৃষ্ণকীর্তন'' কাব্যে অঙ্কিত হয়েছে, তারও উৎস কবির নিজস্ব কল্পনা। জন্মখণ্ড ছাড়া ভাগবতের স্পষ্ট প্রমাণ পড়েছে বৃন্দাবনখণ্ডে। ভাগবতে কথিত হয়েছে যে, ষোলো শত গোপিনী সঙ্গে কৃষ্ণ শরৎকালে একদা বিলাসে মত্ত হয়েছিলেন। এটি রাস নামে কথিত। বড়ু চণ্ডীদাসও এই কাহিনি অনুসরণ করেন। তাঁর রাধা এখন আর মিলনে অনিচ্ছুক নন। বরং বক্রদৃষ্টিতে ও বিচিত্র দেহভঙ্গিতে কৃষ্ণের কামনা উদ্রেক করতে যথেষ্ট পটিয়সী। অন্যান্য গোপিনী থাকা সত্ত্বেও রাধাতেই যেন কৃষ্ণের সফল তৃপ্তি। তবুও রাধার অনুরোধে সব সখীদের তৃপ্ত করার প্রতিশ্রুতির দেন কৃষ্ণ। অতঃপর বনের মধ্যে রাধাকৃষ্ণের মিলন হয়। ভাগবতেও আছে:
<poem>
:: অনয়ারাধিতো নূনং ভগবান হরিরীশ্বর।
:: যন্নো বিহায় গোবিন্দ প্রীত যামনয়দ্রহঃ।।
</poem>
তবে ভাগবতের ঘটনাক্রম অনুসরণ করেননি বড়ু চণ্ডীদাস। ভাগবতের রাস অনুষ্ঠিত হয়েছিল কংসবধের পরে, কিন্তু ''শ্রীকৃষ্ণকীর্তন''-এ রাস হল কংসবধের পূর্বেই। তাছাড়া ভাগবতের রাস শরৎকালীন এবং নিশাকালে সম্পন্ন, কিন্তু ''শ্রীকৃষ্ণকীর্তন''-এ আছে দিবাকালীন বাসন্তী রাসের বর্ণনা। এক্ষেত্রে বড়ু চণ্ডীদাস সম্ভবত অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন জয়দেবের দ্বারা। ''গীতগোবিন্দম্''-এর দু-একটি পদের আক্ষরিক গীতানুবাদও রয়েছে বৃন্দাবনখণ্ডে। যেমন, “রতি তোর আশোআশেঁ গেলা অভিসারে” ইত্যাদি। অবশ্য কেউ কেউ বলেন, ''শ্রীকৃষ্ণকীর্তন''-এ কৃষ্ণের বৃন্দাবন-বিলাস একান্তভাবেই ভাগবত-বর্ণিত রাতের অনুকরণজাত। ভাগবতের সঙ্গে এই কাব্যের মিল আছে কালীয়দমনখণ্ডের কাহিনিতেও। দুই গ্রন্থেই কালীদহের জলে নেমে কৃষ্ণ কর্তৃক কালীয়নাগ দমনের প্রসঙ্গ আছে। তবে বড়ু চণ্ডীদাস উদ্দেশ্যের ভিন্নতা দেখিয়েছেন। ভাগবতকার যেখানে কালীদহের বিষাক্ত জল বৃন্দাবনবাসীর ব্যবহারোপযোগী করে তোলার জন্য কৃষ্ণকে নাগদমনে নিয়োজিত করেছেন, সেখানে বড়ু চণ্ডীদাস দেখাতে চেয়েছেন যে, সখীদের নিয়ে জলক্রীড়ার করার জন্য কালীদহ বিষমুক্ত করতে কৃষ্ণ সেই জলাশয়ে ঝাঁপ দেন। অচৈতন্য কৃষ্ণের আত্মজ্ঞান ফেরানোর জন্য বলরামের দশাবতার স্তবের মধ্যে ক্রম পরিবর্তিত হয়ে গিয়েছে এই কাব্যে। বরাহপুরাণে কৃষ্ণের নাম আছে অষ্টম স্থানে, সেখানে ''শ্রীকৃষ্ণকীর্তন''-এ কাহিনির প্রয়োজনে তা সবশেষে উল্লিখিত। বস্ত্রহরণের প্রসঙ্গটিও ভাগবত থেকে নেওয়া। তবে ''শ্রীকৃষ্ণকীর্তন''-এ বস্ত্রের সঙ্গে কৃষ্ণ রাধার হারও চুরি করে নেয় এবং সব কিছু ফিরিয়ে দিলেও হারটি নিজের কাছে রেখে দেয়। এই তথ্য ভাগবতে নেই। আখ্যানের বাইরেও পুরাণের প্রভাব আবিষ্কার করা যায় কবি কর্তৃক নানা পৌরাণিক প্রসঙ্গের অবতারণায়। বিভিন্ন চরিত্রের মুখে উপমা ও উৎপ্রেক্ষা স্বরূপ এগুলি সার্থকভাবে প্রয়োগ করেছেন তিনি। পরদারাসক্তির সমর্থনে কৃষ্ণের উক্তিতে এসেছে কুন্তী, রম্ভা ও গঙ্গার প্রসঙ্গ। এর বিপক্ষে রাধা উদাহরণ দিয়েছেন সোম-তারা, ইন্দ্র-অহল্যা ও চণ্ডী কর্তৃক সুন্দ-উপসুন্দ বধের। পুরাণশাস্ত্রে কবির পাণ্ডিত্যের প্রমাণ এগুলি। কিন্তু এইসব দৃষ্টান্ত সত্ত্বেও ''শ্রীকৃষ্ণকীর্তন'' কৃষ্ণমাহাত্ম্যমূলক কাব্য নয়। পুরাণের পরিচিত গল্পকে আশ্রয় করে কবি এতে লৌকিক জীবনের পরিচয়ই প্রকাশ করতে চেয়েছিলেন। মৌলিকতা দেখিয়েছেন রাধা ও কৃষ্ণের চরিত্র চিত্রণে।
''শ্রীকৃষ্ণকীর্তন'' কাব্যের তেরোটি খণ্ডের মধ্যে মোট চার-পাঁচটি খণ্ডে পুরাণের প্রভাব বাদ দিলে অবশিষ্ট খণ্ডগুলি কম-বেশি কবির স্ব-কল্পিত। বিশেষত তাম্বুলখণ্ড, দানখণ্ড, নৌকাখণ্ড, ছত্রখণ্ড, ভারখণ্ড, হারখণ্ড, বাণখণ্ড পুরোপুরি কবির নিজস্ব উদ্ভাবনা। এগুলির কোনও সাহিত্যিক উৎস নেই। আখ্যান-সূত্রে বোঝা যায়, জন্মখণ্ডের পর কাহিনিকে কবি লোকসমাজের রুচি অনুযায়ী পরিবর্তিত করে নেন। দেবতাদের অনুরোধে কৃষ্ণ পৃথিবীতে আসেন বটে, তবে তাঁর মুখ্য কাজ কংসবধ আপাতত গৌণ হয়ে যায়, পরিবর্তে রাধার দেহসম্ভোগে তিনি মত্ত হয়ে ওঠেন। তার জন্য ছলনা, চাতুরী, কৌশল, বলপ্রয়োগ কোনও কিছুতেই দ্বিধা নেই তাঁর। লম্পট পুরুষের মতোই কৃষ্ণের হাবভাব, গ্রাম্য গোঁয়ারের মতো ঔদ্ধত্যপূর্ণ তাঁর কথাবার্তা। জন্মখণ্ডের কর্তব্যপরায়ণ নারায়ণের সঙ্গে এই কৃষ্ণকে কোথাও মিলিয়ে নেওয়া যায় না। পাশাপাশি এটাও দেখা যায় যে, কবি কৃষ্ণকে পদ্মনাভ, চক্রপাণি, গদাধর ইত্যাদি নামে সম্বোধন করে পুরাণের অনুসরণ করেছেন, আবার অন্যদিকে মগর-খাড়ু পরিয়ে, হাতে লগুড় ধরিয়ে গ্রাম্য যুবকে রূপান্তরিত করেছেন। এই বিষয়ে ড. সত্যবতী গিরি তাঁর ''বাংলা সাহিত্যে কৃষ্ণকথার ক্রমবিকাশ'' গ্রন্থে লিখেছেন, “গ্রামীণ সাধারণের রুচিকে পরিতৃপ্ত করার জন্যই কবি কৃষ্ণের এই গ্রাম্যরূপ অঙ্কন করেছেন। নিঃসন্দেহে এটিও কবির লোকমুখিতারই প্রমাণ।” (পৃ. ৬৫)
রাধার ক্ষেত্রে কবি অনেকটাই স্বাধীনতা নিয়েছেন। তার জন্মকাহিনি কোনও পুরাণকে অনুসরণ করে গড়ে ওঠেনি। বস্তুত ভাগবত, বিষ্ণুপুরাণ কিংবা হরিবংশে রাধার উল্লেখও করা হয়নি। ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণে রাধা কৃষ্ণের বিবাহিতা পত্নী, যা অন্য কোনও শাস্ত্রগ্রন্থে দেখা যায় না। এই পুরাণে রাধার পিতামাতার পরিচয়ও আছে। তিনি বৃষভানু ও কলাবতীর কন্যা। আবার পদ্মপুরাণে রাধার মায়ের নাম কীর্তিকা বা কীর্তিদা। বড়ু চণ্ডীদাস এসবের সঙ্গে পরিচিত হয়েও এক নতুন সংবাদ দিলেন—কৃষ্ণের সম্ভোগের জন্য দেবগণের নির্দেশে লক্ষ্মী রাধা হয়ে এলেন। তাঁর পিতা সাগর গোপ, মাতা পদ্মা। রাধাকে কবি প্রথমাবধিই আত্মবিস্মৃত করে রাখলেন। সেই সঙ্গে লৌকিক জনশ্রুতি অনুযায়ী তাঁর বিবাহ দিলেন নপুংসক আইহনের সঙ্গে। ফলে কাহিনির মধ্যে একটা দ্বন্দ্ব সৃষ্টির অবকাশ তৈরি হয়েছে। গড়ে উঠেছে নাটকীয়তা। সতীত্ব-সংস্কারে বাঁধা বিবাহিতা রাধার সঙ্গে দেহলোভী কৃষ্ণের বাগবিতণ্ডা বেশ জমে উঠেছে। রাধার এই কৃষ্ণ-বিমুখতা কবির নিজস্ব কাব্যভাবনার ফসল। তাম্বুলখণ্ডে বড়ায়ির মুখে রাধার রূপবর্ণনা শুনে কৃষ্ণের কামাসক্ত হওয়া এবং বড়ায়িকে দিয়ে তাম্বুল প্রেরণ, রাধা কর্তৃক বড়ায়ির অপমান এবং ক্রুদ্ধ বড়ায়ির কৃষ্ণকে রাধা-লাঞ্ছনার মন্ত্রণা দান কোনও পুরাণেই নেই। আসলে কবি জয়দেবের কাব্য থেকে রাধার পূর্ণায়ত ছবিটি গ্রহণ করলেও তাতে সামাজিকতার রং চড়িয়ে তাঁকে অনেক বেশি বাস্তবের নারী করে তুলেছেন। এই রাধার মধ্যে সংস্কার, অন্ধবিশ্বাস, কামনা-বাসনা, রিরংসা, লোভ, দুঃখ-বেদনা সবই পুঞ্জীভূত হয়েছে। দানখণ্ডের আখ্যানেও দেখা যায়, কৃষ্ণের দানী সেজে বসা, মথুরার ঘাটে তর্ক করা, রাধার দই-দুধ নষ্ট করা, পরিশেষে তাঁর দেহসম্ভোগ পুরাণ-বহির্ভূত বিষয় হিসেবে কাহিনিকে আকর্ষণীয় করে তুলতে সাহায্য করেছে। নৌকাখণ্ডে নৌকার মাঝি সেজে ছল করে রাধাকে সম্ভোগ করতে, ছত্রখণ্ড ও ভারখণ্ডে সঙ্গমলোভে দই-দুধের পসরা বহন করতে এবং রাধার মস্তকে ছত্রধারণ করতে দেখা যায় কৃষ্ণকে। হারখণ্ডে কৃষ্ণ কর্তৃক রাধার হার চুরি, ক্ষুব্ধ রাধার যশোদার কাছে নালিশ, তিরষ্কৃত কৃষ্ণের বাণ মেরে রাধাকে মূর্চ্ছিত করা এবং বড়ায়ির ভর্ৎসনায় রাধার চেতনা সম্পাদন করাও কবির নিজস্ব কল্পনা। বংশীখণ্ডে বাঁশির শব্দে গৃহস্থালির কাজ-ভোলা রাধার ছবি অনবদ্য। এর জন্য কবির কোথাও কোনও ঋণ নেই। বড়ায়ির পরামর্শে রাধা যে কৃষ্ণের বাঁশি চুরি করে আবার ফিরিয়ে দেয় তারও কোনও প্রাচীন উৎস নেই। রাধাবিরহ অংশে বড়ায়িকে বারবার কৃষ্ণ এনে দেওয়ার অনুরোধ, এমনকি শেষ সম্ভোগের পর বড়ায়ির হাতে রাধাকে সমর্পণ করে কৃষ্ণের প্রস্থানও কবির স্ব-কল্পিত। এগুলির একটিও পুরাণ-বর্ণিত ঘটনা নয়। আর এই অংশগুলিতে অশ্লীলতা ও গ্রাম্যতা দোষেরও আধিক্য দেখা যায়।
''শ্রীকৃষ্ণকীর্তন'' কাব্যে অশ্লীলতার প্রসঙ্গটিও একটি বিচার্য বিষয়। মনে রাখতে হবে, এই কাব্য রাজসভার সাহিত্য নয়, গ্রাম্যের অখ্যাত অশিক্ষিত অপরিশীলিত সাধারণ মানুষের চিত্তবিনোদনের উদ্দেশ্যেই এর রচনা। যে পাশ্চাত্য প্রভাবজাত মার্জিত সাহিত্যবোধের আধুনিক পাঠক সাহিত্যকে বিচার করেন, পঞ্চদশ শতকের বাংলায় তার আবির্ভাব ঘটেনি। বরং ভারতীয় সাহিত্যের আদিরসকেই এই কাব্যে বরণ করে নেওয়া হয়েছে। মনে রাখতে হবে, প্রাচীন ভারতে যৌনতাকে বিশিষ্ট জ্ঞানশৃঙ্খলা হিসেবে পাঠ করার রীতি ছিল, যার প্রত্যক্ষ প্রমাণ বাৎস্যায়নের ''কামসূত্রম্''। তাছাড়া ভারতীয় অলংকারশাস্ত্রের রতিই প্রথম ভাব, রসের আদিতে দাঁড়ায় শৃঙ্গার রস। কৃষ্ণের ন্যায় দেবচরিত্রে কলঙ্কের কথা যদি তোলা হয়, তাহলে বলতে হবে সমান দোষে দুষ্ট পুরাণকারও। তাঁরাও দেবরাজ ইন্দ্রকে অগম্যাগামী লম্পট পুরুষ রূপে চিত্রিত করেছেন। মধ্যযুগের ধর্মীয় প্রতিবেশে ''শ্রীকৃষ্ণকীর্তন'' কাব্যের একটি বিশেষ গুরুত্ব আছে। এই কাব্যে ধর্মের আবরণে আসলে কবি শুনিয়েছেন সমকালের জীবনকথা। রাধা ও কৃষ্ণের পৌরাণিক ঐতিহ্যমণ্ডিত নামগুলি সরিয়ে ফেলতে পারলেই সারা কাহিনিতে অনুভব করা যাবে পঞ্চদশ শতকের বাঙালি সমাজকে। তখন কৃষ্ণ আর ঐশী সত্তা থাকেন না, হয়ে পড়েন সামন্ততান্ত্রিক পুরুষ-শাসিত সমাজের ব্যভিচার-দুষ্ট পুরুষ, যে নারীকে লাঞ্ছিত করে কেড়ে নেয় তার নিজস্ব সম্পদ, সামাজিক বলদর্পিতায় পিষ্ট করে নারীর স্বাধীন সত্তা। বুঝতে অসুবিধাই হয় না, বড়ু চণ্ডীদাস আসলে তাঁর কালের ধৃষ্ট কামুক পুরুষ ও লাঞ্ছিতা নারীর কথাই বলতে চেয়েছেন তাঁর কাব্যে, কেবল কালের অনুরোধে তাঁকে গ্রহণ করতে হয়েছে ধর্মের আবরণ। ধর্মের এই অনাবশ্যক অংশটুকু বাদ দিলেই কৃষ্ণকথা পরিণত হতে পারত বিশুদ্ধ মানবকথায়, এবং বাঙালি পাঠক সেদিনই লাভ করতে পারত আধুনিক সাহিত্যের স্বাদ।
===চরিত্রবিচার: কৃষ্ণ, রাধা ও বড়ায়ি===
আখ্যানধর্মী সাহিত্যে চরিত্র এক গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। কাহিনি স্থূল ঘটনামাত্রের বিবরণ নয়, তার পিছনে থাকে পাত্রপাত্রীর সচেতন চিন্তা ও ক্রিয়া। চরিত্র বিবর্তিত হয় ঘটনার মধ্যে দিয়ে। কখনও ঘটনা চরিত্রকে নিয়ন্ত্রণ করে, কখনও চরিত্র নিয়ন্ত্রণ করে ঘটনাকে। এইভাবে তৈরি হয় দ্বন্দ্বময়তা, আখ্যানে আসে গতি। ঘটনা ও চরিত্রের আপেক্ষিক প্রাধান্য বিচার করলে দেখা যায়, মধ্যযুগের কবিরা ঘটনাকেই বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন, চরিত্রের অন্তঃরহস্য উদ্ঘাটনে ততটা যত্নবান হননি। অথচ চরিত্র-বিশ্লেষণের মাধ্যমেই তাঁদের প্রতিভার পূর্ণ বিকাশ সম্ভব হত, যেহেতু তাঁদের কাব্যের আখ্যানবৃত্ত ছিল পূর্বনির্ধারিত। অল্প যে কয়েকজন কবি এর ব্যতিক্রম বড়ু চণ্ডীদাস তাঁদের অন্যতম। আখ্যান-বিন্যাসে যেমন তিনি পুরাণকে অতিক্রম করে মৌলিকতার সাক্ষর রেখেছেন, তেমনই চরিত্রগুলিও তাঁর হাতে পেয়েছে অন্য মাত্রা।
====কৃষ্ণ====
''শ্রীকৃষ্ণকীর্তন'' কাব্যের কৃষ্ণ চরিত্রটি সম্পর্কে শঙ্করীপ্রসাদ বসু তাঁর ''মধ্যযুগের কবি ও কাব্য'' গ্রন্থে মন্তব্য করেছেন, “শ্রীকৃষ্ণকীর্তনের শ্রেষ্ঠত্বের সবটুকু আত্মসাৎ করিয়াছে রাধা। যাহার নাম কীর্তন করিতে কাব্যটির রচনা সেই শ্রীকৃষ্ণই উহার দোষের আশ্রয়। কাব্যটির যত কিছু দুর্নাম কৃষ্ণের জন্যই।” এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে দুটি কথা বলা যায়। প্রথমত, বড়ু চণ্ডীদাস যে কৃষ্ণের মাহাত্ম্যকীর্তনের জন্য কাব্য রচনা করেননি তার প্রমাণ ''শ্রীকৃষ্ণকীর্তন''-এই পাওয়া যায়। তাছাড়া এই কাব্যের নামকরণও যে কবিই করেছেন, তার কোনও উপযুক্ত প্রমাণ উপস্থিত করা সম্ভব হয়নি। দ্বিতীয়ত, কাব্যের দোষ কাব্য-বর্ণিত কোনও চরিত্রের স্বভাব বা প্রকৃতির উপর নির্ভর করে না, করে অলংকারশাস্ত্রে কথিত নানা মানদণ্ডের উপরে। রসাভাসে বা অঙ্গীরসের পরিস্ফুটনে বাধা সৃষ্টি হলে কাব্যে দোষ দেখা যায়। ''শ্রীকৃষ্ণকীর্তন'' এইসব ত্রুটি থেকে মুক্ত। আসলে এই কাব্যের কৃষ্ণ জয়দেবের ধীরললিত নায়ক কিংবা চৈতন্য-পরবর্তী যুগের গৌড়ীয় বৈষ্ণব দর্শনের তত্ত্বময় কৃষ্ণ নয় বলে পাঠকের অভ্যস্থ রসসিদ্ধ সংস্কারে আঘাত লাগে। এই কৃষ্ণ শাস্ত্রবর্ণিত দেবতা নয়, বরং কবির সমাজবোধ-প্রসূত রক্তমাংসের মানুষ। প্রকৃতপক্ষে দেবত্বের মোড়কে তিনি তাঁর যুগের লম্পট মানবিকতাবোধশূন্য কামুক পুরুষকেই হাজির করেছেন কাব্যের কাঠামোয়। অর্থাৎ কৃষ্ণ চরিত্র চিত্রণে কবিকে দুই দিক সামলে চলতে হয়েছে। একদিকে তাঁকে রক্ষা করতে হয়েছে কৃষ্ণের প্রথাগত দেবতা এবং অনুদিকে তাঁকে ফুটিয়ে তুলতে হয়েছে তাঁর সমকালের সাধারণ মানুষের বাস্তব আচরণকে। এইভাবে জোড়াতালি দিতে গিয়ে তিনি যে সব দিকে সঙ্গতি রক্ষা করতে পেরেছেন তা নয়, তবে তাঁর চেষ্টার মধ্যে যে আন্তরিকতা ও অভিনবত্ব ছিল তাতে কোনও সন্দেহ নেই।
জন্মখণ্ড থেকে রাধাবিরহ পর্যন্ত সর্বত্রই কৃষ্ণের উপস্থিতি। তবে প্রথম দিকে সেই উপস্থিতি যতটা সক্রিয় ও প্রত্যক্ষ, শেষ দিকে তা ক্রমশ হ্রাস পেয়েছে। বংশীখণ্ডে ও রাধাবিরহে কৃষ্ণকে অবলম্বন করে মুখ্যত রাধা চরিত্রেরই বিকাশ দেখিয়েছেন কবি।
জন্মখণ্ডের কৃষ্ণ ঐশী ভাবান্বিত এক পরম সত্তা। পুরাণপুরুষের আবির্ভাব কাহিনি এখানে সংক্ষেপে বর্ণিত হয়েছে পুরাণের অনুসরণ করেই। কৃষ্ণের প্রথাগত দেবত্ব রক্ষা করা হয়েছে পুতনা-বধ, যমলার্জুন ভঙ্গ ও কেশী দানব বিনাশের পৌরাণিক কাহিনির অবতারণায়।
ভাগবতের এই ঐশ্বর্যময় কৃষ্ণ তাম্বুলখণ্ডে এসে হঠাৎ প্রকৃতি বদল করে ফেলে। এখান থেকেই সে পরিপূর্ণ গ্রাম্য গোপযুবক। সে উদ্ধত, হঠকারী, একগুঁয়ে, হৃদয়হীন ও নারীদেহ-লোলুপ। ভূ-ভার হরণের জন্য যে তার আবির্ভাব সে কথা সে যেন সম্পূর্ণ বিস্মৃত। বড়ায়ির মুখে রাধার রূপবর্ণনা শুনে সে এক লালসাদীপ্ত কামুকে পরিণত। তার সমস্ত প্রচেষ্টার মধ্যে রাধাকে করায়ত্ত করার বাসনাই প্রকট। প্রথমে তাম্বুল প্রেরণ করে সে ভদ্রভাবে মিলনের প্রস্তাব জানায়, রাধা তা অপমান করে প্রত্যাখ্যান করলে সে ক্রুদ্ধ হয়ে ওঠে। দানখণ্ডে ও নৌকাখণ্ডে সে এই অপমানের প্রতিশোধ নেয় ছলে বলে কৌশলে করে রাধার সঙ্গে মিলিত হয়ে। এই দুটি খণ্ডে তো বটেই, ভারখণ্ডে ও ছত্রখণ্ডেও কৃষ্ণের দেবত্ব তলানিতে এসে ঠেকে যখন সে ‘সুরতি’ লাভের লোভে সমস্ত মানসম্মান বিসর্জন দিয়ে রাধার দই-দুধের ভার বহন করে এবং তার মাথায় ছত্রধারণ করে।
বৃন্দাবনখণ্ডের কৃষ্ণ কিছুটা জয়দেব-অনুসারী, তবু কবি এখানে কৃষ্ণ চরিত্রে বিশিষ্টতা এনেছেন। জয়দেবের কাব্যভাষার অনুবাদ যেন কৃষ্ণের মুখে, “তোহ্মে সে মোহোর রতন ভূষণ তোহ্মে সে মোহোর জীবন”। আবার জয়দেবের কৃষ্ণ রাধাকে ত্যাগ করে অন্যান্য গোপিনীদের সঙ্গে বিহার করলেও বড়ু চণ্ডীদাসের কৃষ্ণ রাধার অনুরোধে গোপিনীদের সঙ্গে বিহাররত।
কালীয়দমনখণ্ডে কবি কৃষ্ণকে ফিরিয়ে নিয়ে যান পুরাণবৃত্তে। জলক্রীয়ায় ইচ্ছুক কৃষ্ণ বীরত্ব সহকারে বিষাক্ত জলে নেমে দর্পের সঙ্গে কালীয়নাগ দমন করে। ভাগবতের কাহিনি হলেও দুষ্ট কৃষ্ণের আর-এক রূপ পাওয়া যায় বস্ত্রহরণখণ্ডে। কবি গ্রাম্য আচরণে অভ্যস্থ যৌবনলোভী যুবকের ছবি এঁকেছেন এখানে। রাধার আকুতিতে তার বসন ফিরিয়ে দিলেও কৃষ্ণ হার গোপন রাখে। রাধা অভিযোগ জানান যশোদার কাছে। মায়ের কাছে ভর্ৎসিত কৃষ্ণ ক্রুদ্ধ হয়ে ওঠে। প্রতিশোধ নিতে সে বাণখণ্ডে হৃদয়হীনতার পরিচয় দিয়ে রাধাকে বাণে সংজ্ঞাহীন করে।
''শ্রীকৃষ্ণকীর্তন'' কাব্যের এই পর্যায় থেকে দেখা যায়, রাধার প্রতি কৃষ্ণের পূর্বের আকর্ষণ প্রায় তিরোহিত। এর সঙ্গত কারণ কবি নিজেই ব্যাখ্যা করেছেন। যে যৌন-আকাঙ্ক্ষা প্রথমাবধি কৃষ্ণকে চালিত করেছে, এখন তার পরিপূর্ণ তৃপ্তিতে কৃষ্ণ রাধার প্রতি বিগতস্পৃহ হয়ে পড়েছে। ‘কামী’ কৃষ্ণ এখন ‘গততৃষ্ণ’ কৃষ্ণে পরিণত। তাই রাধার সামান্য অপরাধ সে ক্ষমা করতে পারে না। তুচ্ছ কারণে সে নিজেকে সরিয়ে নিতে চায় সমাজ ও সংসার থেকে বিচ্ছিন্না রাধার কাছ থেকে। কৃষ্ণের এই নির্মমতা সত্যই সমালোচনার যোগ্য। তাই দেখা যায়, যে বড়ায়ি এতদিন কৃষ্ণকে নানাভাবে পরামর্শ দিয়ে রাধার সতীত্বের দর্প চূর্ণ করতে সাহায্য করেছে, এখন সেই বর্ষীয়সী অভিভাবিকাই তিরস্কার করছে ‘দেব বনমালী’ রাধাকে সংজ্ঞাহীন করে দিয়েছে বলে। বড়ায়ি ভর্ৎসনা না করলে কৃষ্ণ রাধার সংজ্ঞা ফিরিয়ে আনত কিনা সন্দেহ।
রাধা সম্পর্কে কৃষ্ণের এই শীতলতা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেয়েছে বংশীখণ্ডে ও রাধাবিরহে। এতক্ষণ কৃষ্ণের আচরণ অভব্য ও অশালীন ছিল বটে, কিন্তু শিশুসুলভ ছিল না। কিন্তু বংশীখণ্ডে দেখা গেল পূর্বাপরসঙ্গতিবিহীন এক কৃষ্ণকে। সে নিস্পৃহ চিত্তে একাকী বৃন্দাবনে বসে বাঁশি বাজায়। সে বাঁশির শব্দে রাধার চিত্ত চঞ্চল হয়ে ওঠে। কৃষ্ণকে না পেয়ে বড়ায়ির পরামর্শে রাধা বাঁশি চুরি করে। বাঁশি না পেয়ে কৃষ্ণ অবোধ বালকের মতো কাঁদতে থাকে। শেষে বড়ায়ির বুদ্ধিতে করজোড়ে রাধা ও গোপীদের কাছে করুণ স্বরে বাঁশি ফেরৎ চায় সে। বলা বাহুল্য, কৃষ্ণ চরিত্রের পূর্বের গাম্ভীর্যটুকু সম্পূর্ণ বিনষ্ট হয়েছে এখানে।
রাধাবিরহেও কৃষ্ণ চরিত্র একই রকম সামঞ্জস্যহীন। রাধার বিষয়ে তার ক্রমবর্ধমান অনীহা খণ্ডটির প্রথম ও শেষ দিকে বজায় থাকলেও মধ্যাংশে, বিশেষত মিলনের পর, কৃষ্ণের আচরণ বিস্ময়করভাবে অন্য রকম। বড়ায়ির অনুরোধেই কৃষ্ণ মথুরা ছেড়ে বৃন্দাবনে এসেছে কেবল রাধার সঙ্গে মিলিত হতে। লক্ষণীয়, কৃষ্ণ এবার নিষ্ঠুর হয়েও পুরোপুরি নির্মম হতে পারেনি। মিলনকালে তো বটেই, মিলনের পরেও কৃষ্ণের কয়েকটি আচরণ বেশ অপ্রত্যাশিত। সে তৎক্ষণাৎ স্থান পরিত্যাগ করে না, রতিক্লান্ত সঙ্গিনীর পরিচর্যা করে:
<poem>
:: নব কিশলয়ত শয্যা রচিল।
:: নিজ উরুতলে তাক নিশ্চলে রাখিল।।
</poem>
নিদ্রিতা রাধার যাতে কোনও ক্ষতি না হয়, সেজন্যও কৃষ্ণের কত আয়াস। মথুরায় যাওয়ার আগে বড়ায়ির হাতে রাধাকে অর্পণ করে তার রক্ষণাবেক্ষণের ভার দিয়ে যায় সে। কামুক কৃষ্ণের এই হঠাৎ জেগে-ওঠা কর্তব্যবোধের কোনও ব্যাখ্যা পাওয়া যায় না। সমগ্র ''শ্রীকৃষ্ণকীর্তন''-এ কেবল এই অংশটুকুতে প্রেমিক কৃষ্ণ এক ঝলক উঁকি দিয়েই চিরতরে হারিয়ে যায়। গ্রন্থ শেষ হয়েছে রাধার প্রতি বিতৃষ্ণ কৃষ্ণের উক্তিতে:
<poem>
:: শতকী না কর বড়ায়ি বোঁলো মা তোহ্মরে।
:: জায়িতেঁ না ফুরে মন নাম শুণী তারে।।
:: যত দুখ দিল মোরে তোম্ভার গোচরে।
:: হেন মন কৈলোঁ আর না দেখিবোঁ তারে।।
</poem>
কৃষ্ণের এই হৃদয়হীন উক্তি ও আচরণ তাকে কাঠগড়ায় দাঁড় করায়। কারণ, এ কাব্যে সে স্বর্গের দেবতা নয়, দেবতার খোলসে ঢাকা রক্তমাংসের কামতাড়িত দোষগুণান্বিত পার্থিব মানুষ।
dq5722lkw3rfkfsrxhjtv2vn6uqucp3
85846
85819
2025-07-08T11:05:20Z
Jonoikobangali
676
/* কৃষ্ণ */
85846
wikitext
text/x-wiki
পৌরাণিক সংস্কৃতির অন্যতম বিশিষ্ট একটি ধারা হল কৃষ্ণকথার ধারা। বৈদিক সাহিত্যেই এই কৃষ্ণকথার বীজ নিহিত ছিল। ক্রমে পুরাণগুলির মধ্যে দিয়ে ক্রমবিকাশের নানা পর্যায় পার হয়ে বিষ্ণু, নারায়ণ, হরি, বাসুদেব ইত্যাদি পৌরাণিক চরিত্র একক পুরুষে একীভূত হয়ে যায়। তখন তিনি হন অংশী, অন্যরা অংশ। আনুমানিক খ্রিস্টীয় ৮০০ থেকে ১০০০ অব্দের মধ্যবর্তীকালে রচিত ভাগবত পুরাণে সেই অংশী ‘স্বয়ং ভগবান’ কৃষ্ণ নামে কথিত হলেন। এই পুরাণে ধারাবাহিকভাবে বর্ণিত হল কৃষ্ণের জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত সমস্ত কাহিনি। বস্তুত ভাগবতধর্মের বিকাশ ঘটল এই গ্রন্থ রচনার পরে। এরপর একাদশ শতকে দক্ষিণ ভারত থেকে ভক্তি আন্দোলনের ঢেউ এসে পড়ল উত্তর ভারতেও। সেই সূত্রে বাংলাতেও এসে উপস্থিত হল কৃষ্ণভক্তিবাদ। সেন আমলে বাংলায় যে ব্রাহ্মণ্য সংস্কৃতির প্রতিষ্ঠা ও প্রসার ঘটেছিল, তার অন্যতম অবলম্বন ছিল কৃষ্ণকথা। জয়দেব তাঁর ''গীতগোবিন্দম্'' কাব্যে কৃষ্ণকে একই সঙ্গে করে তুললেন পরমারাধ্য বিষ্ণুর অবতার এবং কামকেলিকলার নায়ক।
ঠিক এই সময়েই বাংলার রাজনৈতিক ইতিহাসে এমন এক যুগান্তকারী ঘটনা ঘটল, যার সুদূরপ্রসারী ফলে বাঙালি সমাজ, বাংলার সাহিত্য ও সংস্কৃতি এবং বাঙালি হিন্দুর দৈনিক জীবনে এল এক আমূল পরিবর্তন। ঘটনাটি ইতিহাসে তুর্কি আক্রমণ নামে খ্যাত। ১২০৩ খ্রিস্টাব্দে স্বল্পসংখ্যক যোদ্ধা নিতে তুর্কি সেনানায়ক ইখ্তিয়ার-উদ্দিন মহম্মদ বিন বখ্তিয়ার খিলজি আক্রমণ করলেন রাজা লক্ষ্মণসেনের রাজ্য। বৃদ্ধ রাজা পালিয়ে গেলেন পূর্ববঙ্গে। বিদেশি শাসনে সাধারণ হিন্দুরা সমূহ বিপদের সম্মুখীন হল। এই সংকটকালে কোনও সাহিত্য রচিত হয়েছিল কিনা সেই বিষয়ে সঠিক তথ্য আজও পাওয়া যায় না। অনুমান করা হয়, তুর্কি আক্রমণের প্রাথমিক আঘাত কাটিয়ে ওঠার পর সমাজজীবন সুস্থির হলে বাঙালির সাহিত্যচর্চার অবকাশ তৈরি হয়। এই দু-আড়াইশো বছর সময়টিকে মধ্যযুগীয় বাংলা সাহিত্যের প্রস্তুতি পর্ব বলা যায়। এই সময়েই বিদেশি শাসকের ধর্মীয় ও সামাজিক নির্যাতন থেকে বাঁচতে বাংলা সাহিত্যকে অবলম্বন করে বাঙালি হিন্দু এক সাংস্কৃতিক বর্ম গড়ে তোলে।
আসলে দীর্ঘদিন ধরে হিন্দুসমাজের অন্ত্যজ-অস্পৃশ্য শ্রেণির মানুষেরা উচ্চবর্ণের নিপীড়ন সহ্য করার পর ইসলামের সাম্যবাদী নীতিতে আকৃষ্ট হতে শুরু করেছিল। সেই সঙ্গে শাসকবর্গের প্রলোভন ও দমনপীড়নের নীতি তো ছিলই। ফলে দলে দলে লোক ধর্মান্তরিত হচ্ছিল ভয়ে, লোভে, পীড়নে ও পিরদের কেরামতিতে আকৃষ্ট হয়ে। এতে হিন্দু সমাজপতিদের টনক নড়ে। নিজেদের ধর্মাদর্শকে দেশীয় ভাষায় সকলের কাছে প্রচারের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে তারা। সমাজের ভাঙন প্রতিরোধে শাস্ত্রকথা শুনিয়ে লোক-নিস্তারণের দায়িত্ব নেন অনুবাদক কবিরা। অন্যদিকে মঙ্গলকাব্যের আখ্যানে উঠে আসে অবনমিত সম্প্রদায়ের উপরে ওঠার ইতিহাস। চণ্ডী, মনসা, ধর্মঠাকুর প্রমুখ লোকদেবতা আর অপাংক্তেয় হয়ে থাকেন না, বরং মন্ত্র ও পূজা ইত্যাদি প্রাপ্তির মাধ্যমে তাঁরাও স্বীকৃত হন উচ্চসমাজে। প্রাক্-চৈতন্য যুগে বাংলায় প্রচারিত কৃষ্ণকথা ও বৈষ্ণব পদাবলি সাহিত্য এই প্রেক্ষাপটেই বিবেচ্য।
খ্রিস্টীয় চতুর্থ-পঞ্চম শতকে গুপ্তযুগে কৃষ্ণের নৈষ্ঠিক পূজার্চনার রীতি চালু হয়। তৎকালীন অভিলিখন, ভাস্কর্য ও শাস্ত্রগ্রন্থে তার প্রমাণ পাওয়া যায়। অষ্টম শতকে শঙ্করাচার্যের আবির্ভাবে বৈদান্তিক মতের প্রাধান্য ঘটে। সম্ভবত এরই প্রতিক্রিয়ায় একাদশ শতকে দক্ষিণ ভারতের বৈষ্ণব ভক্তিবাদী আন্দোলনের ঢেউ এসে পড়ে উত্তর ভারতে। আরও তিন শতক পরে চতুর্দশ শতকের শেষভাগে মাধবেন্দ্র পুরী সারা ভারতে কৃষ্ণভক্তিবাদ প্রচার করেন। শোনা যায় বাংলায় তিনি কৃষ্ণভক্তির সূচনা করেছিলেন অদ্বৈত আচার্য ও ঈশ্বর পুরী নামে দুই শিষ্যের মাধ্যমে। ঈশ্বর পুরীই দশাক্ষর গোপালমন্ত্রে দীক্ষা দিয়েছিলেন নবদ্বীপের বিখ্যাত স্মার্ত নিমাই পণ্ডিতকে—যিনি সন্ন্যাসগ্রহণের পর শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য বা চৈতন্য মহাপ্রভু নামে পরিচিত হন। বস্তুত ভক্তিবাদের অন্যতম শ্রেষ্ঠ প্রবক্তা চৈতন্যের প্রভাবে বাংলায় কৃষ্ণকথা ও বৈষ্ণব পদাবলি এক নতুন মাত্রা লাভ করে। তাঁর রাগানুগা ভক্তি প্রচলিত কৃষ্ণার্চনার ধারায় এক অভিনব সংযোজন। প্রাক্-চৈতন্য যুগের তুলনায় তাই চৈতন্য-পরবর্তী যুগের কৃষ্ণকেন্দ্রিক সাহিত্যচর্চার ধারা অনেকটাই আলাদা। প্রথম পর্বে যেখানে বৈধী ভক্তির প্রাধান্য দেখা যায়, চৈতন্য-পরবর্তী পর্বে বৈষ্ণব সাধনায় দেখা যায় রাগানুগা প্রেমাভক্তির প্রাধান্য। পূর্ববর্তী বৈষ্ণব পদাবলিতে গৌড়ীয় বৈষ্ণব দর্শনতত্ত্বের স্পর্শ অথবা ''উজ্জ্বলনীলমণি'' গ্রন্থের ন্যায় বৈষ্ণবীয় অলংকারশাস্ত্রের নিগূঢ় বন্ধন ছিল না; সেই পদ রচিত হয়েছিল কবিদের নিজস্ব প্রাকৃত ও আধ্যাত্মিক চেতনার সংমিশ্রণে, কোথাও আবার সংস্কৃত সাহিত্যের নায়ক-নায়িকা প্রকরণের ছায়া অবলম্বনে। সাহিত্যের ইতিহাসবিদেরা বিভিন্ন প্রমাণের উপর নির্ভর করে জানিয়েছেন, প্রাক্-চৈতন্য যুগে কৃষ্ণকথা ও বৈষ্ণব পদসাহিত্য দেশীয় ভাষায় রূপ দিয়েছিলেন তিনজন শক্তিমান কবি। এঁরা হলেন ''শ্রীকৃষ্ণকীর্তন'' কাব্যের কবি বড়ু চণ্ডীদাস এবং পদাবলির অন্যতম দুই বিশিষ্ট রূপকার বিদ্যাপতি ও চণ্ডীদাস। অবশ্য ভাষা ও জাতিগত বিচারে বিদ্যাপতি বাঙালি ছিলেন না। তিনি পদ রচনা করেন ব্রজবুলি ভাষায়। প্রাক্-চৈতন্য যুগের কৃষ্ণকথা ও পদাবলি সাহিত্য আলোচনায় এই তিন বিশিষ্ট কবির সাহিত্যসম্ভারের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করা যেতে পারে।
==''শ্রীকৃষ্ণকীর্তন'' কাব্য==
আদি মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের প্রাচীনতম নিদর্শন হিসেবে ''শ্রীকৃষ্ণকীর্তন'' কাব্যের দাবি সর্বজনস্বীকৃত। এই কাব্যের রচয়িতা বড়ু চণ্ডীদাস আর কোনও বিচ্ছিন্ন পদ রচনা করেছিলেন কিনা, তা নিয়ে সন্দেহ থাকলেও তিনি যে বাংলা ভাষায় কৃষ্ণকেন্দ্রিক একটি বৃহদায়তন গাথাকাব্য রচনা করেছিলেন, তাতে কোনও সন্দেহ নেই। কাব্যটি নানা কারণে তাৎপর্যপূর্ণ। ১৯০৯ খ্রিস্টাব্দে (১৩১৬ বঙ্গাব্দে) প্রাচীন সাহিত্য-বিশারদ বসন্তরঞ্জন রায় বিদ্বদ্বল্লভ বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুর শহরের নিকটবর্তী কাঁকিল্যা গ্রামে বৈষ্ণব ধর্মগুরু শ্রীনিবাস আচার্যের দৌহিত্র্য-বংশীয় দেবেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ের গোয়ালঘরের মাচা থেকে অযত্নরক্ষিত এই পুথিটি উদ্ধার করেন। সাত বছর পরে ১৩২৩ বঙ্গাব্দে বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ থেকে পুথিটিকে ''শ্রীকৃষ্ণকীর্তন'' নামে সম্পাদনা করে প্রকাশ করেন তিনি। প্রকাশের পর এই গ্রন্থের নানা বিষয় নিয়ে বিতর্কের সূত্রপাত ঘটে।
===কবি: বড়ু চণ্ডীদাস===
''শ্রীকৃষ্ণকীর্তন'' কাব্যের রচয়িতা বড়ু চণ্ডীদাস। মধ্যযুগে চণ্ডীদাস নামধারী আরও কবি ছিলেন বলে গবেষকদের ধারণা। তবে বড়ু চণ্ডীদাস যে অন্যদের থেকে স্বতন্ত্র, সে ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যায়। কাব্যের ভণিতা থেকে কিছু বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছিল। কবি কোথাও নিজেকে ‘অনন্ত বড়ু’, কোথাও ‘অনন্ত বড়ু চণ্ডীদাস’, আবার কোথাও বা কেবল ‘চণ্ডীদাস’ ভণিতা ব্যবহার করেছেন। তার মধ্যে ‘বড়ু চণ্ডীদাস’ ভণিতাই পাওয়া যায় সর্বাধিক সংখ্যায়—২৯৮ বার, এবং ‘চণ্ডীদাস’ ভণিতা আছে ১০৭ বার। এই পুথি আবিষ্কারের অনেক আগে থেকেই বাঙালি পাঠক ও বৈষ্ণব সমাজ চণ্ডীদাসের পদের সঙ্গে পরিচিত ছিল। উনিশ শতকে বৈষ্ণব মহাজনদের রচিত পদগুলির সংকলনও প্রকাশিত হয়। ব্রিটিশ প্রাচ্যতত্ত্ববিদ এইচ. এইচ. উইলসন তাঁর ''স্কেচ অফ দ্য রিলিজিয়াস সেক্টস অফ হিন্দুজ'' গ্রন্থে মন্তব্য করেছিলেন যে, গোবিন্দদাস ও বিদ্যাপতির যৌথ কর্তৃত্বে সংস্কৃত ভাষায় ''কৃষ্ণকীর্তন'' নামে একটি গ্রন্থ প্রণীত হয়েছিল। তথ্যটি বাঙালি লেখকদের কলমে বিকৃত হয়ে এই রূপ নেয় যে, চণ্ডীদাস ''কৃষ্ণকীর্তন'' নামে একটি পুথি রচনা করেছিলেন। তাই ''শ্রীকৃষ্ণকীর্তন'' পুথি আবিষ্কারের পর স্বয়ং আবিষ্কর্তাও বিভ্রান্ত হয়ে কবিকে ‘মহাকবি চণ্ডীদাস’ বলেই উল্লেখ করেন। তাঁর ধারণা ছিল “দীর্ঘকাল যাবৎ চণ্ডীদাস বিরচিত কৃষ্ণকীর্তন”-এর যে অস্তিত্বের কথা তিনি শুনে আসছিলেন, প্রাপ্ত পুথিটি তারই বাস্তব দৃষ্টান্ত। ভণিতায় প্রাপ্ত ‘বড়ু চণ্ডীদাস’ নামটি তিনি উপেক্ষা করে যান। সেই থেকেই চণ্ডীদাস সমস্যার প্রাথমিক সূত্রপাত। দীনেশচন্দ্র সেনও জানান, “কবি চণ্ডীদাস ও কৃষ্ণকীর্তন রচয়িতা যে অভিন্ন ব্যক্তি, তৎসম্বন্ধে আমাদের সংশয় নেই।” যে চণ্ডীদাস যৌবনে তীব্র আদিরসাত্মক রচনায় সিদ্ধহস্ত, পরিণত বয়সে তিনিই আধ্যাত্মিক রসে বিহ্বল। মনীন্দ্রমোহন বসু কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুথিশালা থেকে দীন চণ্ডীদাসের পদ আবিষ্কার করলে সমস্যা আরও তীব্র হয়। কারণ পুরোনো পুথিপত্রে একক চণ্ডীদাসের উল্লেখই পাওয়া যায়। যেমন, কৃষ্ণদাস কবিরাজের ''চৈতন্যচরিতামৃত'' বা সনাতন গোস্বামীর ''বৈষ্ণবতোষিণী'' টীকা ইত্যাদিতে কোথাও বড়ু বা দীন চণ্ডীদাসের নামোল্লেখ নেই।
কিন্তু এত জটিলতা সত্ত্বেও কয়েকটি অকাট্য প্রমাণের বলে পদাবলির চণ্ডীদাস থেকে ''শ্রীকৃষ্ণকীর্তন'' কাব্যের রচয়িতাকে পৃথক করা সম্ভব হয়েছে। ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ''সাহিত্য-পরিষৎ-পত্রিকা''-র ষষ্টিতম ভাগ, দ্বিতীয় সংখ্যায় ‘চণ্ডীদাস সমস্যা’ শীর্ষক প্রবন্ধে বিস্তারিত আলোচনা করে কোন কোন সূত্রে দুই চণ্ডীদাস স্বতন্ত্র তা দেখিয়েছেন। তাঁর সুচিন্তিত সমাধানগুলি হল:
# ''শ্রীকৃষ্ণকীর্তন'' কাব্যে কোথাও ‘দ্বিজ চণ্ডীদাস’ বা ‘দীন চণ্ডীদাস’ ভণিতা নেই।
# বড়ু চণ্ডীদাস রাধার পিতামাতার নাম সাগর ও পদুমা বলে উল্লেখ করেছেন।
# বড়ু চণ্ডীদাস রাধার শাশুড়ি বা ননদের নাম উল্লেখ করেননি। ‘বড়ায়ি’ ছাড়া কোনও সখীকেও সম্বোধন করেননি।
# ''শ্রীকৃষ্ণকীর্তন'' কাব্যে চন্দ্রাবলী রাধারই নামান্তর, পৃথক প্রতিনায়িকা নন।
# বড়ু চণ্ডীদাস কৃষ্ণের কোনও সখার নাম উল্লেখ করেননি।
# বড়ু চণ্ডীদাস সর্বত্র প্রেম অর্থে ‘নেহ’ বা ‘নেহা’ ব্যবহার করেছেন।
# বড়ু চণ্ডীদাস কোথাও রাধার বিশেষণে ‘বিনোদিনী’ এবং কৃষ্ণ অর্থে ‘শ্যাম’ ব্যবহার করেননি।
# ''শ্রীকৃষ্ণকীর্তন'' কাব্যে রাধা গোয়ালিনী মাত্র, রাজকন্যা নন।
# বড়ু চণ্ডীদাস ব্রজবুলি জানতেন বলে প্রমাণ পাওয়া যায় না।
উপরিউক্ত তথ্যগুলি বড়ু চণ্ডীদাসের পৃথক অস্তিত্বের প্রমাণ। আসলে মধ্যযুগের অনেক কবির মতোই বড়ু চণ্ডীদাসও নিজের সম্পর্কে উদাসীন ছিলেন। কেবল তিনি যে ‘বাসলী’ নামে এক দেবীর সেবক ছিলেন, সেই কথাই উল্লিখিত হয়েছে ভণিতায়। এই কবিকে নিয়ে লোক-ঐতিহ্য গড়ে উঠেছে, ছড়িয়ে পড়েছে অনেক জনশ্রুতি। কবির জন্মস্থান বাঁকুড়ার ছাতনা না বীরভূমের নানুর তা নিয়ে বিতর্ক আছে। কারণ, দুই স্থানেই বাসলী দেবীর মন্দির আছে, চণ্ডীদাস ও রামী রজকিনীকে নিয়ে লোকপ্রবাদ প্রচলিত, বছরের নির্দিষ্ট দিনে মেলা ও উৎসব হয়। তবে বাঁকুড়ার দিকেই পাল্লা ভারী। কারণ নানুরের কবি চণ্ডীদাসের ভণিতায় মেলে ‘বাশুলী’ দেবীর নাম এবং ''শ্রীকৃষ্ণকীর্তন''-এ আছে ‘বাসলী’ দেবীর উল্লেখ। এছাড়া গুরুতর প্রমাণ এই কাব্যের ভাষা। বাঁকুড়ার লোকভাষার আনুনাসিক ধ্বনির প্রাধান্য এবং এই অঞ্চলে প্রচলিত গড়া, চুক, মাকড়, ঝঁট, ভোক ইত্যাদি আঞ্চলিক শব্দ ''শ্রীকৃষ্ণকীর্তন'' কাব্যেও পাওয়া যায়। কোনও কোনও গবেষক বাঁকুড়ার উপভাষার রূপতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য নির্ধারণ করে ''শ্রীকৃষ্ণকীর্তন''-এ তার প্রাচীন প্রয়োগ দেখিয়েছেন। তাছাড়া এই পুথিটিও পাওয়া গিয়েছে বাঁকুড়া থেকেই। এছাড়া তালশিক্ষার যে পুথিতে ''শ্রীকৃষ্ণকীর্তন'' কাব্যের কয়েকটি পদের আধুনিক রূপান্তর পাওয়া যায়, সেটিও আবিষ্কৃত হয়েছে এই জেলাতেই।
বড়ু চণ্ডীদাস লোকরীতির কাব্য রচনা করলেও তিনি যে সংস্কৃত ভাষায় সুপণ্ডিত ছিলেন তাতে সন্দেহ নেই। যে অনায়াস দক্ষতায় ভাগবত পুরাণ, বিষ্ণুপুরাণ, পদ্মপুরাণ, ভবিষ্যপুরাণ, ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণ এবং ''গীতগোবিন্দম্'' ও ''কুট্টিনীমতম্'' ইত্যাদি গ্রন্থের তথ্য কাব্যে ব্যবহার করেছেন এবং দেড় শতাধিক সংস্কৃত শ্লোক রচনা করেছেন তাতে সংস্কৃত ভাষা-সাহিত্যে তাঁর প্রগাঢ় ব্যুৎপত্তি প্রমাণিত হয়। ‘বড়ু’ শব্দটি থেকে কেউ কেউ অনুমান করেন, কবি ব্রাহ্মণ ছিলেন। এটি ‘বটু’ শব্দ থেকেই আসতে পারে। বড়ু হলেন শ্রোত্রীয় শ্রেণির ব্রাহ্মণ। রজকিনী-ঘটিত জনশ্রুতিতে তিনি ব্রাহ্মণ বলেই কথিত। ছাতনার বাসলী আসলে খড়্গ-খর্পরধারিণী দক্ষিণাকালী। সেই সূত্রে কবিকে শাক্ত বলে গণ্য করাই সমীচীন। ''শ্রীকৃষ্ণকীর্তন'' কাব্যের ভাষা দেখে ভাষাতাত্ত্বিকেরা একে পঞ্চদশ শতকের মাঝামাঝি সময়ের রচনা বলে শনাক্ত করেছেন। সম্ভবত বড়ু চণ্ডীদাস পঞ্চদশ শতকের প্রথমার্ধেই আবির্ভূত হন।
===কাব্য পরিচয়===
''শ্রীকৃষ্ণকীর্তন'' রাধাকৃষ্ণের প্রণয়মূলক আখ্যানধর্মী কাব্য। ধ্রুপদি প্রেমকাহিনির মধ্যে রাধাকৃষ্ণের প্রেম বিশেষত্ব-মণ্ডিত। রামসীতা বা হরপার্বতীর ন্যায় এই প্রেম স্বকীয়া বা বিবাহোত্তর প্রেম নয়, এই প্রেমের প্রকৃতি পরকীয়া। বস্তুত ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণ ছাড়া আর কোথাও রাধাকৃষ্ণের স্বামী-স্ত্রী সম্বন্ধ দেখানো হয়নি। লোক-ঐতিহ্যে রাধা কৃষ্ণের মাতুলানী। ফলে এই প্রেম নিয়ে অনেক মুখরোচক গালগল্প তৈরি হয়েছিল এক সময়ে। চৈতন্য-পরবর্তী যুগে অবশ্য রাধা তত্ত্বে পরিণত। তখন তিনি কৃষ্ণের স্বকীয়া অন্তরঙ্গা শক্তি। হ্লাদিনীর সারভূত রূপ মহাভাব থেকে রাধার উৎপত্তি ব্যাখ্যাত। কিন্তু বড়ু চণ্ডীদাস প্রাক্-চৈতন্য যুগের কবি। রাধাকে তিনি চিত্রিত করেছেন প্রাকৃত রমণী রূপেই, কোনও আধ্যাত্মিক তত্ত্বের আলোকে নয়। স্বীকার করে নিয়েছেন কৃষ্ণের সঙ্গে তাঁর মাতুলানী-ভাগিনেয় সম্পর্ক। ফলে এই কাব্য লোকরঞ্জনকারী এক কাহিনিতে পর্যবসিত হয়েছে। এর ভাব, ভাষা, আঙ্গিক, পরিবেশ সবই গ্রামীণ। গ্রাম্য রুচির কাছে আত্মসমর্পণ করে পণ্ডিত কবি এই কাব্যে পুরাণকথা ও লোকশ্রুতির মিশ্রণ ঘটিয়েছেন। তবে তাঁর মধ্যে প্রতিভার অভাব ছিল না। সেই প্রতিভায় রাধা, কৃষ্ণ ও বড়ায়ির চরিত্র হয়ে উঠেছে সমুজ্জ্বল। ভাগবত পুরাণে রাধার উল্লেখ পাওয়া যায় না। জয়দেবই প্রথম রাধাকে নিয়ে বৃহদায়তন গাথাকাব্য রচনা করেন। বড়ু চণ্ডীদাসের অন্যতম আদর্শ এই রচনা। তবে রাধা চরিত্র চিত্রণে তিনি যে প্রখর সমাজবাস্তবতা ও সূক্ষ্ম মনস্তাত্ত্বিক জ্ঞানের পরিচয় দিয়েছেন, তা অনবদ্য। দেশীয় ভাষায় এইপ্রকার বৃহদায়তন প্রথম আখ্যানকাব্য রচনার কৃতিত্ব বড়ু চণ্ডীদাসেরই প্রাপ্য।
''শ্রীকৃষ্ণকীর্তন'' কাব্যের আবিষ্কৃত পুথিটির প্রথমাংশ ও শেষাংশ পাওয়া যায়নি। মাঝের কয়েকটি পাতাও অবলুপ্ত। পাওয়া গিয়েছে তেরোটি খণ্ডে বিন্যস্ত মোট ৪১৮টি পদ। কবি প্রথম বারোটি খণ্ডের নাম দিয়েছেন যথাক্রমে (১) জন্মখণ্ড, (২) তাম্বুলখণ্ড, (৩) দানখণ্ড, (৪) নৌকাখণ্ড, (৫) ভারখণ্ড, (৬) ভারখণ্ডান্তর্গত ছত্রখণ্ড, (৭) বৃন্দাবনখণ্ড, (৮) যমুনান্তর্গত কালীয়দমনখণ্ড, (৯) যমুনান্তর্গত বস্ত্রহরণখণ্ড, (১০) যমুনান্তর্গত হারখণ্ড, (১১) বাণখণ্ড ও (১২) বংশীখণ্ড। ত্রয়োদশ খণ্ডটির শেষাংশ পাওয়া যায়নি বলে এই খণ্ডের কবিকৃত নামটি জানা যায় না। সম্পাদক বসন্তরঞ্জন এই খণ্ডের নামকরণ করেছেন ‘রাধাবিরহ’। তেরোটি খণ্ডে অখণ্ড সুস্পষ্ট একটি গল্প বলা হয়েছে। গল্প এগিয়েছে কবির বিবৃতি এবং আখ্যানের মুখ্য তিন চরিত্রের কথোপকথনের মধ্যে দিয়ে। গল্পটি সংক্ষেপে এইরকম:
অত্যাচারী কংসের পীড়নে ব্যথিতা বসুন্ধরার আর্তিতে স্বর্গের দেবতারা একত্রিত হয়ে সিদ্ধান্ত নিলেন যে, কংসের বিনাশের জন্য নারায়ণ ‘কৃষ্ণ’ নাম নিয়ে বসুদেবের গৃহে দেবকীর উদরে জন্মগ্রহণ করবেন। তাঁর সম্ভোগের জন্য লক্ষ্মীও প্রেরিত হলেন রাধা রূপে। তার পিতা সাগর, মাতা পদুমা বা পদ্মা। দেবগণের ইচ্ছানুসারে রাধার স্বামী হলেন নপুংসক আইহন। বালিকাবধূ রাধার পরিচর্যার জন্য এলেন পদ্মার বুড়ি পিসি বড়ায়ি। গোপরমণী রাধাকে দুধ-দই বেচতে মথুরার হাটে যেতে হয়। একদা রাধা বড়ায়ির দৃষ্টিপথের বাইরে চলে যায়। তার রূপ-গুণ বর্ণনা করে ব্রজের রাখাল নন্দগোপসুত কৃষ্ণের কাছে বড়ায়ি রাধার সন্ধান জানতে চাইল। সেই রূপের কথা শুনে কৃষ্ণের মনে রাধাসঙ্গের বাসনা জেগে উঠল। বড়ায়ির হাতে তাম্বুল অর্থাৎ পান দিয়ে প্রেমের প্রস্তাব জানালেন কৃষ্ণ। কিন্তু বিবাহিতা রাধার মনে তখনও স্বামী-সংস্কার তীব্র। পরপুরুষের প্রতি বিরাগ সে ক্রুদ্ধ হয়ে তাম্বুলে লাথি মেরে বড়ায়িকে অপমান করে তাড়িয়ে দিল। অপমানিতা বড়ায়ি এসে কৃষ্ণের কাছে সব জানিয়ে এর প্রতিবিধান করতে বলল। দুজনে পরামর্শ করল, যমুনার ঘাটে কৃষ্ণ দানী সেজে বসবে এবং দানের ছলে দুধ-দই নষ্ট করবে, হার কেড়ে নেবে, কাঁচুলি ছিঁড়বে। পরামর্শ অনুযায়ী কুতঘাটে বসে রইল কৃষ্ণ। রাধা সখীদের নিয়ে এল সেই ঘাটে। কৃষ্ণ দানী হয়ে মহাদান চেয়ে বসল। শুধু পণ্যদ্রব্য পার করার কড়ি নয়, রাধার অঙ্গের জন্যও ভিন্ন ভিন্ন পরিমাণ কড়ি দাবি করল সে। কড়ি না দিলে দিতে হবে আলিঙ্গন। কিন্তু রাধার পক্ষে তা মেনে নেওয়া কখনই সম্ভব নয়। শুরু হল বাগবিতণ্ডা। রাধা কৃষ্ণকে নিবৃত্ত করতে চায় মাতুলানী সম্পর্কের কথা তুলে। কিন্তু কৃষ্ণের বক্তব্য “নহসি মাউলানী রাধা সম্বন্ধে শালী”। কৃষ্ণ রাধাকে পূর্বজন্মের কথা স্মরণ করিয়ে দিতে চাইলেও রাধা সেসব বিস্মৃত। শেষে রাধার বাধাদান সত্ত্বেও কৃষ্ণ তার সঙ্গে বনের মধ্যে মিলিত হল। আবারও বড়ায়িয়ের কৌশলে রাধা এল যমুনার ঘাটে। একাকিনী রাধাকে যমুনা পার করার সময় কৃষ্ণ মাঝ-নদীতে ঝড় তুলে রাধার মনে ভীতি সঞ্চার করল। ভয়ার্ত রাধা বাঁচার জন্য কৃষ্ণকে জড়িয়ে ধরতে বাধ্য হল। সেই সুযোগে নদীমধ্যে দুজনের মিলন ঘটল। এতদিনে রাধা বুঝতে পেরেছে কৃষ্ণের দুর্বলতা কোথায়। তাই সে এবার নিজেই অগ্রণী হয়ে মথুরার হাটের জন্য বড়োসড়ো পসরা সাজালো। মথুরার পথে যেতে কৃষ্ণকে ‘সুরতি’ দেওয়ার লোভ দেখিয়ে বইয়ে নিল দুধ-দইয়ের ভার। একইভাবে দেহলোভী কৃষ্ণকে দিয়ে প্রচণ্ড রোদে ছাতাও বহন করালো রাধা। অতঃপর বৃন্দাবনে মহাসমারোহে ঘটল বসন্তের আবির্ভাব। রাধা এবার আড়চোখে চেয়ে ও নানা অঙ্গভঙ্গি করে কৃষ্ণের কামনা জাগিয়ে তুলল। ষোলোশো গোপিনী সঙ্গে বিলাস সমাপ্ত করে কৃষ্ণ রাধার কাছে এসে দেখল সে অভিমানাহত হয়ে বিষণ্ণ মনে নীরবে বসে আছে। কৃষ্ণ মধুর বচনে রাধার মান ভাঙিয়ে লিপ্ত হল সঙ্গমে। রাসলীলায় কৃষ্ণের উৎসাহ বৃদ্ধি পেতে জলক্রীড়ার কথা চিন্তা করে কালীদহের বিষাক্ত জল বিষমুক্ত করতে দহে নেমে পড়ল কৃষ্ণ। বিষের তীব্রতায় কৃষ্ণ অচৈতন্য হয়ে পড়লে নন্দ, যশোদা, বলরাম প্রমুখ আত্মীয়েরা বিলাপ করতে লাগলেন। কৃষ্ণের বিপদ অনুমান করে যাবতীয় লোকলজ্জা ত্যাগ করে রাধা এবার সর্বসমক্ষে ‘পরাণপতি’ বলে কেঁদে উঠল। অবশেষে কালীয় নাগকে দমন করে কৃষ্ণ উঠে এল জল থেকে। একদিন রাধা সখীদের নিয়ে যমুনায় জল ভরতে এসে কৃষ্ণের সঙ্গে জলকেলিতে মত্ত হল। সেই সুযোগে কৃষ্ণ গোপিনীদের বস্ত্রহরণ করল। রাধার অনুনয়ে কৃষ্ণ বস্ত্র ফিরিয়ে দিলেও তার বক্ষহারটি লুকিয়ে রাখল। হার না পেয়ে রাধা এবার গিয়ে অনুযোগ জানালো কৃষ্ণজননী যশোদার কাছে। যশোদা কৃষ্ণকে ভর্ৎসনা করলে অপমানিত কৃষ্ণ ফুলধনু দিয়ে রাধাকে বাণাহত করে মূর্চ্ছিত করল। কিন্তু এবার বড়ায়ি কৃষ্ণের আচরণে ক্ষুব্ধ হল। সে তিরস্কার করে রাধার প্রাণ ফিরিয়ে দিতে বলল। তখন কৃষ্ণের হস্তস্পর্শে রাধার চৈতন্য হল। পরিশেষে বৃন্দাবনে রাধাকৃষ্ণের পুনর্মিলন ঘটল। এখন আর কৃষ্ণের মনে রাধার প্রতি পূর্বের অদম্য আসক্তি কিছুই নেই। বরং শারীরিক মিলনে রাধার মনে জাগ্রত হয়েছে অপূর্ব সুখোন্মাদনা। সে এখন কৃষ্ণ-অন্তপ্রাণ। তার আর কোনও লজ্জা, ভয় বা সতীত্বের বন্ধন নেই। কৃষ্ণ এবার একটি সুন্দর মোহন বাঁশি গড়িয়ে কদমতলায় বসে একমনে বাজাতে থাকে। তার সেই বাঁশির সুর রাধার চিত্তকে বিপর্যস্ত করে দেয়। সে ঘর-সংসার ভোলে, তার গৃহকর্ম নষ্ট হয়, মনে মনে ভাবে “দাসী হআঁ তোর পাএ নিশিবোঁ আপনা”। বড়ায়িকে সে বারবার বলে কৃষ্ণকে তার কাছে এনে দিতে। বড়ায়ি বিপরীত কথা বলে রাধাকে নিরস্ত করতে চায়। কিন্তু রাধার মন কোনও যুক্তিতেই বশীভূত হয় না। তখন দুজনে মিলে কৃষ্ণের সন্ধানে বৃন্দাবনে যায়। সেখানে কৃষ্ণের দর্শন মেলে না। রাতে শয্যায় শায়িত রাধার কানে কৃষ্ণের বাঁশির শব্দ এসে প্রবেশ করে। সে নিদ্রিত স্বামীকে ফেলে একাকিনী কৃষ্ণমিলনের উদ্দেশ্যে পথে বেরিয়ে পড়ে। কিন্তু কোথাও কৃষ্ণকে দেখতে না পেয়ে পথেই মূর্চ্ছিত হয়ে পড়ে রাধা। বড়ায়ি তার মূর্চ্ছাভঙ্গ করে পরামর্শ দেয় কৃষ্ণের বাঁশি চুরি করতে। তাই-ই করে রাধা। বাঁশি বিহনে কৃষ্ণ ব্যাকুলভাবে বিলাপ করতে থাকে। অবশেষে বড়ায়ির মধ্যস্থতায় কৃষ্ণ রাধার কাছে করজোড়ে মিনতি করলে রাধা বাঁশি ফিরিয়ে দেয়। রাধার সকল অপরাধ ক্ষমা করে কৃষ্ণ। বেশ কয়েক মাস কেটে গেলেও শর্ত অনুসারে কৃষ্ণ রাধাকে আর দেখা দেয় না। এবার কৃষ্ণ বিহনে রাধার মনে হতে থাকে “এ ধন যৌবন বড়ায়ি সবই অসার”। সে বারবার বড়ায়িকে কৃষ্ণ এনে দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানায়। বড়ায়ি তাকে পরামর্শ দেয় কদমতলায় কিশলয় শয্যা রচনা করে প্রতীক্ষা করতে। কিন্তু তাতেও কৃষ্ণের দর্শন মেলে না। অতঃপর তারা বৃন্দাবনে প্রবেশ করে গোচারণরত কৃষ্ণের দেখা পায়। রাধা তখন কাতরভাবে তার কাছে অতীত অপরাধের জন্য ক্ষমাপ্রার্থনা করে। তবুও কৃষ্ণের মন গলে না। অবশেষে বড়ায়ির অনুরোধে কৃষ্ণ রাধার সঙ্গে মিলনে সম্মত হয়। বিহারের পর শ্রান্ত হয়ে কৃষ্ণের উরুতে মাথা রেখে রাধা ঘুমিয়ে পড়লে কৃষ্ণ বড়ায়িকে ডেকে তার হাতে রাধার রক্ষণাবেক্ষণের ভার দিয়ে মথুরায় চলে যায়। নিদ্রাভঙ্গের পর কৃষ্ণকে দেখতে না পেয়ে আবার বিষণ্ণ হয়ে পড়ে রাধা। রাধার বিলাপে অস্থির হয়ে বড়ায়ি মথুরায় গিয়ে কৃষ্ণের কাছে রাধার কথা জানায়। কৃষ্ণের বক্তব্য, সে প্রগলভা রাধার কাছে যাবে না। তার মুখদর্শন করতেও সে ইচ্ছুক নয়। আর তাছাড়া সে মথুরায় এসেছে দুরাচারী কংশকে নাশ করতে। তার আর কোনওমতেই বৃন্দাবনে ফিরে যাওয়া চলে না। এরপরই পুথি খণ্ডিত। যতদূর মনে হয়, কবি রাধা ও কৃষ্ণের বিচ্ছেদেই কাব্যটি সমাপ্ত করেছিলেন।
মধ্যযুগীয় কাব্যে প্রক্ষিপ্তি একটি বড়ো সমস্যা। সাহিত্যের সব শাখাতেই কম-বেশি এটি দেখা যায়। যে যুগের লেখকের কর্তৃত্ব সঠিকভাবে চিহ্নিত হত না, সেই যুগে একের রচনায় অন্যের হস্তক্ষেপ স্থান পেয়ে যেত নির্বিরোধে। ''শ্রীকৃষ্ণকীর্তন'' কাব্যের প্রক্ষেপ নিয়ে প্রথম সংশয় জ্ঞাপন করেন যোগেশচন্দ্র রায় বিদ্যানিধি। ‘বড়ু’ ও ‘বাসলী’-বিহীন ভণিতাগুলিকে তিনি অন্যের রচনা বলে মনে করেন। দানখণ্ডের তিনটি পদে ড. সুকুমার সেন প্রক্ষেপ দেখেছেন। আবার কেউ কেউ গায়েনের প্রক্ষেপ লক্ষ্য করেছেন কাব্যের নানা স্থানে। প্রখ্যাত সমালোচক বিমানবিহারী মজুমদারের মতে, সমগ্র ‘রাধাবিরহ’ অংশটিই প্রক্ষিপ্ত। তিনি মোট ছয়টি যুক্তি উপস্থাপিত করেছেন। কিন্তু যুক্তিগুলি যে ততটা প্রমাণনির্ভর নয়, সে বিষয়ে একাধিক গবেষক প্রতি-যুক্তি দিয়েছেন। বিশেষত ‘রাধাবিরহ’ যে কাব্যের অবিচ্ছেদ্য অংশ তার প্রমাণ রয়েছে কাহিনির অভ্যন্তরীণ কাল-পরম্পরায়, কাব্যের গঠনে, রাধার বয়সের অগ্রহতির সাক্ষ্যে, চরিত্রের ক্রম-পরিণামে এবং অবশ্যই কবির ক্রমবিকশিত প্রতিভার স্তরোন্নয়নে। কাব্যের সূচনায় ‘এগার-বরিষ’-এর রাধা এখানে পূর্ণ যুবতীতে পরিণত, কামুক কৃষ্ণ এই পর্যায়ে ভোগতৃপ্ত হয়ে ‘গততৃষ্ণ’ কৃষ্ণে পর্যবসিত। কবি যে ক্রমশ ভাবগভীরতার পথে এগিয়ে এসেছেন, তার প্রমাণ আছে বংশীখণ্ডেই। এই খণ্ডেরই প্রত্যাশিত পরিণাম দেখা যায় ‘রাধাবিরহ’ অংশে। যে গীতিকাব্যিক মূর্চ্ছনার সূচনা হয়েছিল “কেনা বাঁশী বাএ বড়ায়ি কালিনী নঈ কূলে” ইত্যাদি পদে, তার সার্থক পরিণতি ঘটল “দিনের সুরুজ পোড়াআঁ মারে রাতিহো এ দুখ চান্দে” ইত্যাদিতে। রাধার চারিত্রিক বিবর্তনে সম্পূর্ণতা দেখানোর সূত্র ‘রাধাবিরহ’ এই কাব্যেরই অবিচ্ছেদ্য এক অঙ্গ। অন্য কোনও কবির হাত থেকে পূর্বের কাহিনি, চরিত্র, ভাষা ইত্যাদির এতখানি সঙ্গতিপূর্ণ ধারাবাহিকতা আশা করা যায় না। অতএব কিছু ক্ষেত্রে মৃদু সংশয় থাকলেও কাব্যের অন্তর্বর্তী প্রমাণে ‘রাধাবিরহ’ যে মূল কাব্যেরই অবিচ্ছেদ্য অংশ তা স্বীকার করে নেওয়া যায়। এই অংশটি না থাকলে বড়ু চণ্ডীদাসের কবিপ্রতিভার সামগ্রিক মূর্তিটি অনুধাবন করা যেত না।
===গ্রন্থনাম বিচার===
চর্যাপদের পুথির গ্রন্থনাম নিয়ে যেমন বিতর্ক দেখে দিয়েছিল, তেমনই বিতর্ক দেখা দেয় ''শ্রীকৃষ্ণকীর্তন'' পুথির নামকরণকে কেন্দ্র করেও। ''তেঙ্গুর'' তালিকা থেকে প্রাপ্ত প্রমাণের ভিত্তিতে চর্যাপদ সম্পর্কে একটি যুক্তিসিদ্ধ সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া যায়, কিন্তু ''শ্রীকৃষ্ণকীর্তন'' কাব্যের ক্ষেত্রে তেমন কোনও সম্ভাবনা নেই। কারণ, পরবর্তীকালের কোনও গ্রন্থে এই কাব্যের নামোল্লেখও করা হয়নি। প্রকৃত সমস্যার সূত্রপাত আবিষ্কৃত পুথিটির প্রথমাংশ ও শেষাংশের পাতা না পাওয়ায়। বইয়ের সূচনায় এবং পুথির শেষে সমাপ্তিসূচক পুষ্পিকাতেই গ্রন্থনাম পাওয়া যায়। এই দুই অংশ না থাকায় পুথিটি থেকে আবিষ্কর্তা ও সম্পাদক বসন্তরঞ্জন কোনও নাম পাননি। গ্রন্থাকারে প্রকাশ করতে গিয়ে তিনি সম্পাদিত গ্রন্থের নামকরণ করেছিলেন ''শ্রীকৃষ্ণকীর্তন''। পূর্বাপর তথ্য ঘেঁটে দেখা যায়, প্রাচ্যতত্ত্ববিদ উইলসনের দেওয়া একটি ভ্রান্ত তথ্যের উপর দাঁড়িয়ে রয়েছে এই নামকরণের বিষয়টি। তিনি গোবিন্দদাস ও বিদ্যাপতি কর্তৃক যৌথভাবে রচিত ''কৃষ্ণকীর্তন'' নামে এক সংস্কৃত কাব্যের কথা জানিয়েছিলেন। সেই তথ্য প্রথম বিকৃত হয় জগদ্বন্ধু ভদ্রের ‘গোবিন্দদাস’ প্রবন্ধে (''বান্ধব'', শ্রাবণ ১২৮২ সংখ্যা)। তিনি লেখেন, “উইলসন সাহেব কৃত উপাসক সম্প্রদায় গ্রন্থে লিখিত আছে যে, চণ্ডীদাস ও গোবিন্দদাস উভয়ে মিলিত হইয়া কৃষ্ণকীর্তন প্রণয়ন করেন।” এই সংবাদই সংক্ষিপ্তাকারে প্রকাশ করেন রমণীমোহন মল্লিক, ক্ষীরোদচন্দ্র রায়চৌধুরী, ত্রৈলোক্যনাথ ভট্টাচার্য, ব্রজসুন্দর সান্যাল প্রমুখ প্রাবন্ধিকেরা। ক্রমে ''কৃষ্ণকীর্তন'' নামক কাল্পনিক গ্রন্থটির একক রচয়িতায় পরিণত হন চণ্ডীদাস। বড়ু চণ্ডীদাসের পুথি আবিষ্কৃত হওয়ার পর বসন্তরঞ্জনও ভেবেছিলেন যে, তিনি সেই হারিয়ে-যাওয়া বহুশ্রুত গ্রন্থটিই আবিষ্কার করেছেন। তাই অগ্রপশ্চাৎ বিবেচনা না করে গ্রন্থটির নাম দেন ''শ্রীকৃষ্ণকীর্তন'' এবং লেখকের নাম হিসেবে উল্লেখ করেন ‘মহাকবি চণ্ডীদাস’। গ্রন্থপ্রকাশের এগারো বছর পরে ১৩৩৪ বঙ্গাব্দে গ্রন্থনাম নিয়ে প্রথম সংশয় প্রকাশ করেন রমেশ বসু। ''সাহিত্য-পরিষৎ-পত্রিকা''-য় প্রকাশিত ‘চণ্ডীদাসের শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’ প্রবন্ধে তিনি এও বলেন যে, “এই গ্রন্থ সংস্কৃত ও লৌকিক পুরাণের সমবায়ে গঠিত বলিয়া ইহাও পুরাণ আখ্যা পাইবার সম্পূর্ণ উপযুক্ত। বাস্তবিকই বাঙ্গালায় কৃষ্ণলীলা বিষয়ক যদি কোন মৌলিক পুরাণ থাকে তাহা এই শ্রীকৃষ্ণকীর্তন।” ১৩৩৭ বঙ্গাব্দে ''বিশ্ববাণী'' পত্রিকায় দক্ষিণারঞ্জন ঘোষ ‘চণ্ডীদাসের শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’ নামক আর-একটি প্রবন্ধে ''কৃষ্ণকীর্তন'' নামের কোনও ভিত্তি পাওয়া যায় না বলে মন্তব্য করে প্রশ্ন তোলেন, “শুধু বসন্তবাবুর ধারণা এবং শোনা কথার মূল্য কি?” চার বছর পরে নলিনীনাথ দাশগুপ্ত ''বিচিত্রা'' পত্রিকায় ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তনের সামাজিক তথ্য’ প্রবন্ধে নানা দিক আলোচনা করে পুথিটির ''কৃষ্ণমঙ্গল'' নামকরণের পক্ষপাতী হন। ১৩৪২ বঙ্গাব্দের যোগেশচন্দ্র রায় বিদ্যানিধি ''প্রবাসী'' পত্রিকায় ‘চণ্ডীদাস চরিত’ প্রবন্ধে মন্তব্য করেন, “এক মস্ত ভুলও হয়ে গেছে, রাধাকৃষ্ণলীলার ‘কৃষ্ণকীর্তন’ নাম হয়ে গেছে।” উপরিউক্ত সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দিতে ১৩৪২ বঙ্গাব্দের আশ্বিন মাসের ''প্রবাসী'' পত্রিকায় সম্পাদক বসন্তরঞ্জন লেখেন ‘চণ্ডীদাস চরিতে সংশয়’। সেখানে তিনি ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’ নামকরণের তাৎপর্য ব্যাখ্যায় প্রয়াসী হন। কিন্তু তাঁর মত গবেষকদের মধ্যে ততটা গৃহীত হয়নি।
নামকরণের সমস্যাটি আরও জটিল হয় যখন ১৩৪২ বঙ্গাব্দে বসন্তরঞ্জন ''শ্রীকৃষ্ণকীর্তন'' কাব্যের দ্বিতীয় সংস্করণে পুথির মধ্যে প্রাপ্ত একটি চিরকুট প্রকাশ করেন। তাতে লেখা ছিল: “শ্রীশ্রী রাধাকৃষ্ণঃ।। শ্রীকৃষ্ণসন্দর্ব্বের ৯৫ পচানই পত্র হইতে একসও দস পত্র পর্য্যন্ত একুন ১৬ শোল পত্র শ্রীকৃষ্ণ পঞ্চাননে শ্রীশ্রী মহারাজা হুজুরকে লইয়া গেলেন পুনশ্চ আনিয়া দিবেন—সন ১০৮৯”। প্রাচীন পুথির মধ্যে এই ধরনের রসিদ পাওয়ায় এমন ধারণা হওয়া স্বাভাবিক যে, রসিদটি উক্ত গ্রন্থ-সংক্রান্ত। ফলে নামকরণকে কেন্দ্র করে স্পষ্টত দুটি দল তৈরি হয়ে গেল। একদল পুথিটির ''শ্রীকৃষ্ণকীর্তন'' নাম রাখার পক্ষপাতী, অন্য দলের মতে এর নাম হওয়া উচিত ''শ্রীকৃষ্ণসন্দর্ব্ব''। দ্বিতীয় দলের মধ্যে ছিলেন মুহম্মদ শহীদুল্লাহ, বিজনবিহারী ভট্টাচার্য, অসিতকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় ও অমিত্রসূদন ভট্টাচার্য। এর পাশাপাশি অধ্যাপক সত্যব্রত দে ১৩৮৬-৮৭ বঙ্গাব্দের ''রবীন্দ্রভারতী পত্রিকা''-য় একটি কূটতর্ক তুললেন, “গ্রন্থটির সঠিক নাম কি শ্রীকৃষ্ণকীর্তন না কৃষ্ণকীর্তন?... যে চারটি সাক্ষ্যের উপর নির্ভর করে বসন্তরঞ্জন চণ্ডীদাস-রচিত একটি পূর্ণাঙ্গ কাব্যের অস্তিত্বে দৃঢ়নিশ্চয় হয়েছিলেন তাদের প্রত্যেকটিতেই গ্রন্থনাম কৃষ্ণকীর্তনরূপে লিখিত।”
নামকরণ সমস্যার নিরিখে কয়েকটি যুক্তি গ্রহণ করা যেতে পারে। ‘কীর্তন’ শব্দটির অর্থ অনেক। হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ''বঙ্গীয় শব্দকোষ''-এ ‘কীর্তন’ বলতে ঘোষণা, কথন, বর্ণন, বিবরণ, গুণকীর্তন, স্তবন ইত্যাদি অর্থ নির্দেশিত হয়েছে। ‘কীর্তন’ শব্দটির বৈষ্ণবীয় অর্থ-তাৎপর্য থেকে বের করে এনে যদি প্রয়োগ করা যায়, তাহলে ''শ্রীকৃষ্ণকীর্তন'' নামটি অযোগ্য হয় না। যেহেতু উইলসন তাঁর উল্লিখিত গ্রন্থের নামে ‘শ্রী’ শব্দটি যুক্ত করেননি এবং বাঙালি গবেষকেরাও ''কৃষ্ণকীর্তন'' নামটিই উল্লেখ করেছেন, সেহেতু সত্যব্রত দে-র মতে বইটির নাম ''কৃষ্ণকীর্তন'' হওয়াই স্বাভাবিক। কিন্তু এই যুক্তির গলদ হল এই যে, উইলসন যে সংস্কৃত ''কৃষ্ণকীর্তন''-এর কথা বলেছেন, তার লেখক গোবিন্দদাস ও বিদ্যাপতি—চণ্ডীদাস নন। একটি ভুল ধারণার উপর নির্ভর করে গড়ে ওঠে এই মতটিকে অযথা গুরুত্ব দেওয়া অর্থহীন। ''শ্রীকৃষ্ণসন্দর্ব্ব'' নামটিও এই প্রসঙ্গে বিচার্য। প্রাপ্ত রসিদটি আবিষ্কৃত পুথির মধ্যে পাওয়া গিয়েছে বটে, কিন্তু সেই রসিদে বর্ণিত তথ্য যে উক্ত পুথি-সংক্রান্ত হবেই এর কোনও নিশ্চয়তা নেই। রসিদে বলে হয়েছে যে, ''শ্রীকৃষ্ণসন্দর্ব্ব'' নামক একটি পুথির ৯৫ থেকে ১১০ পত্র শ্রীকৃষ্ণ পঞ্চানন নামে এক ব্যক্তি মহারাজের জন্য ধার করে নিয়ে গেলেন ১০৮৯ সালে অর্থাৎ ১৬৮২ খ্রিস্টাব্দে। তারপর মাস দুয়েকের মধ্যেই পাতাগুলি ফেরৎ এল। ফেরৎ আসার পর খোয়া না যাওয়ার সম্ভাবনা, যেহেতু গ্রন্থাগারটিতে পুথি সংরক্ষণের ক্ষেত্রে যথেষ্ট সাবধানতা নেওয়া হত এবং যার প্রমাণ এই রসিদ। অথচ বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, ধার নেওয়া পাতাগুলির মধ্যে ৯৮/১ এবং ১০৪-১১০ পত্র অর্থাৎ মোট সাড়ে সাতটি পাতা নিখোঁজ। তাহলে অনুমান করতে হয়, অন্য কোনও পুথির ওই ১৬টি পত্র ধার নেওয়া হয়েছিল, যার রসিদটি কোনওভাবে চলে এসেছে এই পুথির মধ্যে। অধ্যাপক তারাপদ মুখোপাধ্যায় এই ক্ষেত্রে অকাট্য যুক্তি দিয়ে বলেছেন যে, জীব গোস্বামী রচিত একটি বিখ্যাত গ্রন্থের নাম ''শ্রীকৃষ্ণসন্দর্ভ''। এটি গৌড়ীয় বৈষ্ণব সমাজের একটি মূল্যবান গ্রন্থ। বিষ্ণুপুরে শ্রীনিবাস আচার্য রাজগুরু হিসেবে প্রভূত সম্মান পেয়েছিলেন ষোড়শ ও সপ্তদশ শতকে। বৃন্দাবনের শিক্ষায় শিক্ষিত শ্রীনিবাসের সাক্ষাৎ গুরু ছিলেন জীব গোস্বামী। বিষ্ণুপুরে বৃন্দাবনের গোস্বামীদের গ্রন্থ প্রচারে একদা মুখ্য ভূমিকা গ্রহণ করেন শ্রীনিবাস। ছোটো চিরকুটটির মধ্যে যে ‘আচার্য প্রভু’-র কথা আছে, তিনি এই শ্রীনিবাস আচার্য ছাড়া আর কেউ নন। তাই তারাপদ মুখোপাধ্যায় মনে করেন, বিষ্ণুপুরের রাজা কোনও কারণে জীব গোস্বামীর ''শ্রীকৃষ্ণসন্দর্ভ'' গ্রন্থেরই ১৬টি পাতা ধার নিয়েছিলেন এবং পরে ফেরৎ পাঠিয়েছিলেন। অতএব বসন্তরঞ্জনের প্রাপ্ত পুথিটির নাম ''শ্রীকৃষ্ণসন্দর্ব্ব'' হতে পারে না। তবু এই বিষয়ে কোনও পাথুরে প্রমাণ না পাওয়া পর্যন্ত ''শ্রীকৃষ্ণকীর্তন'' নামটি গ্রহণ করা ছাড়া অন্য কোনও উপায় নেই।
===পৌরাণিক প্রভাব ও মৌলিকতা===
ভাগবতের কৃষ্ণকে অবলম্বন করে ''শ্রীকৃষ্ণকীর্তন'' কাব্যের কাহিনি গড়ে উঠলেও এই কাব্যকে কোনও সমালোচকই অনুবাদ কাব্য বলে নির্দেশ করেননি। অথচ অনুবাদের ক্ষেত্রে যেমন সংস্কৃত আদর্শ থেকে আখ্যানভাগ, চরিত্র, ভাষা ইত্যাদি গৃহীত হয়ে থাকে, ''শ্রীকৃষ্ণকীর্তন''-এর কয়েকটি ক্ষেত্রে তাই ঘটেছে। আসলে যে ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক প্রয়োজনে অনুবাদ সাহিত্যের জন্ম বড়ু চণ্ডীদাস সম্ভবত তার তাগিদ অনুভব করেননি। প্রাতিষ্ঠানিক বৈষ্ণবধর্মের প্রতি তাঁর তেমন আনুগত্য ছিল না বলেই মনে হয়। ‘বাসুলী-সেবক’ অভিধাটিই চিনিয়ে দেয় তাঁর নির্দিষ্ট ধর্মবিশ্বাসকে। তাই সেকালের শাক্ত-বৈষ্ণবের দ্বন্দ্বময় প্রেক্ষাপটে এই কাব্যকে উপদলীয় ধর্মবিদ্বেষের উৎসৃষ্টি বলে মনে হতেই পারে। কাব্যের নানা স্থানে তার প্রমাণও আছে।
''শ্রীকৃষ্ণকীর্তন'' কাব্যের নায়ক সম্পর্কে সকলেই প্রায় একবাক্যে স্বীকার করেন যে, এই কৃষ্ণ আদৌ বৈষ্ণবদের আরাধ্য দেবতা নন। পুরাণপুরুষ কৃষ্ণের আবরণে কবি আসলে প্রকাশ করেছেন নারীদেহ-লোলুপ এক ‘কামী’ গ্রাম্য গোপযুবককে, যে ছলনা, প্রতারণা ও বলপ্রয়োগ করে এক অনিচ্ছুক বিবাহিতা নারীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তুলে ‘গততৃষ্ণ’ হয়ে নির্দ্বিধায় তাকে পরিত্যাগ করে চলে যায়। এমন অমানবিক পাশবিক চরিত্র দেবতার হতে পারে না। অর্বাচীন পুরাণে বর্ণিত রাধাও যেন রক্তমাংসের নারীতে পরিণত হয়েছেন এই কাব্যে, যার মনস্তাত্ত্বিক বিবর্তন ঘটেছে স্বামী-সংস্কারে আবদ্ধা কুলবধূ থেকে পরপুরুষের প্রেমসন্তপ্তা স্বাধীনভর্তৃকা প্রেমিকাতে। উল্লেখ্য, কবি একবারের জন্যও ‘দেবতা’ কৃষ্ণের কাছে প্রণত হচ্ছেন না, যেমন হয়েছিলেন তাঁর আদর্শ জয়দেব। পাঠক যেন তাঁর অঙ্কিত কৃষ্ণকে সম্পূর্ণ স্ব-কল্পিত মনে না করে, তাই যেন কবি প্রচলিত পুরাণের সঙ্গে কৃষ্ণ চরিত্রের সম্পর্ক দেখিয়ে দিয়েছেন। এই উদ্দেশ্যে বিভিন্ন পুরাণ-বচন উদ্ধৃত করে কবি তাঁর বর্ণিত গল্পের সঙ্গে পৌরাণিকতার একটি প্রচ্ছন্ন যোগসূত্র স্থাপন করেছেন। সেই সূত্রেই এসেছে ভাগবত পুরাণ, পদ্মপুরাণ, বিষ্ণুপুরাণ ও ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণে সন্নিবেশিত নানা তথ্য। বিশেষ করে জন্মখণ্ড বর্ণনায় অনেকগুলি পুরাণ থেকে যে তিনি আখ্যানবস্তু আহরণ করে নিজের মতো করে সেগুলি বিন্যস্ত করেছেন তার প্রমাণ রয়েছে আখ্যান-বিন্যাসে। জন্মখণ্ডে কবি রচিত প্রথম সংস্কৃত শ্লোকটি হল:
<poem>
:: পৃথুভারব্যথাং পৃথ্বী কথয়ামাস নির্জ্জরান্।
:: ততঃ সরভসং দেবাঃ কংসধ্বংসে মনো দধুঃ।।
</poem>
এই প্রসঙ্গ বিষ্ণুপুরাণ, পদ্মপুরাণ ও ভাগবত পুরাণেও আছে। তবে প্রত্যেকটি কাহিনিই কম-বেশি স্বতন্ত্র। যেমন, বিষ্ণুপুরাণে পৃথিবীকে বহুভারে পীড়িতা হয়ে সুমেরু পর্বতে দেবতাদের কাছে গিয়ে নিজের বেদনার কথা বিবৃত করতে দেখা যায়। পদ্মপুরাণে কংসের নিপীড়নের প্রসঙ্গ উত্থাপিত হয়েছে। ভাগবত পুরাণে আছে বসুমতীর গোরূপ ধারণ করে ব্রহ্মার কাছে গিয়ে দুঃখ নিবেদনের সংবাদ। পদ্মপুরাণের উত্তরখণ্ডে আছে দেবকীর সপ্তম পুত্রকে রোহিণীর গর্ভে মায়া দ্বারা সংক্রামিত করে অষ্টম গর্ভে নারায়ণের নিজে আবির্ভূত হওয়ার অঙ্গীকার। বড়ু চণ্ডীদাসও সেই তথ্য পরিবেশন করেছেন। এছাড়া নারায়ণ কর্তৃক দেবতাদের হস্তে কৃষ্ণ ও শুভ্রবর্ণের কেশ প্রদানের প্রসঙ্গও বিভিন্ন পুরাণ থেকে গৃহীত। অবশ্য এই প্রসঙ্গে মনে রাখা দরকার যে, রাধার জন্মকাহিনি বর্ণনায় কবি পুরাণের পথ পরিহার করে স্বাধীন কল্পনার আশ্রয় নিয়েছেন। নারদের যে রূপ ''শ্রীকৃষ্ণকীর্তন'' কাব্যে অঙ্কিত হয়েছে, তারও উৎস কবির নিজস্ব কল্পনা। জন্মখণ্ড ছাড়া ভাগবতের স্পষ্ট প্রমাণ পড়েছে বৃন্দাবনখণ্ডে। ভাগবতে কথিত হয়েছে যে, ষোলো শত গোপিনী সঙ্গে কৃষ্ণ শরৎকালে একদা বিলাসে মত্ত হয়েছিলেন। এটি রাস নামে কথিত। বড়ু চণ্ডীদাসও এই কাহিনি অনুসরণ করেন। তাঁর রাধা এখন আর মিলনে অনিচ্ছুক নন। বরং বক্রদৃষ্টিতে ও বিচিত্র দেহভঙ্গিতে কৃষ্ণের কামনা উদ্রেক করতে যথেষ্ট পটিয়সী। অন্যান্য গোপিনী থাকা সত্ত্বেও রাধাতেই যেন কৃষ্ণের সফল তৃপ্তি। তবুও রাধার অনুরোধে সব সখীদের তৃপ্ত করার প্রতিশ্রুতির দেন কৃষ্ণ। অতঃপর বনের মধ্যে রাধাকৃষ্ণের মিলন হয়। ভাগবতেও আছে:
<poem>
:: অনয়ারাধিতো নূনং ভগবান হরিরীশ্বর।
:: যন্নো বিহায় গোবিন্দ প্রীত যামনয়দ্রহঃ।।
</poem>
তবে ভাগবতের ঘটনাক্রম অনুসরণ করেননি বড়ু চণ্ডীদাস। ভাগবতের রাস অনুষ্ঠিত হয়েছিল কংসবধের পরে, কিন্তু ''শ্রীকৃষ্ণকীর্তন''-এ রাস হল কংসবধের পূর্বেই। তাছাড়া ভাগবতের রাস শরৎকালীন এবং নিশাকালে সম্পন্ন, কিন্তু ''শ্রীকৃষ্ণকীর্তন''-এ আছে দিবাকালীন বাসন্তী রাসের বর্ণনা। এক্ষেত্রে বড়ু চণ্ডীদাস সম্ভবত অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন জয়দেবের দ্বারা। ''গীতগোবিন্দম্''-এর দু-একটি পদের আক্ষরিক গীতানুবাদও রয়েছে বৃন্দাবনখণ্ডে। যেমন, “রতি তোর আশোআশেঁ গেলা অভিসারে” ইত্যাদি। অবশ্য কেউ কেউ বলেন, ''শ্রীকৃষ্ণকীর্তন''-এ কৃষ্ণের বৃন্দাবন-বিলাস একান্তভাবেই ভাগবত-বর্ণিত রাতের অনুকরণজাত। ভাগবতের সঙ্গে এই কাব্যের মিল আছে কালীয়দমনখণ্ডের কাহিনিতেও। দুই গ্রন্থেই কালীদহের জলে নেমে কৃষ্ণ কর্তৃক কালীয়নাগ দমনের প্রসঙ্গ আছে। তবে বড়ু চণ্ডীদাস উদ্দেশ্যের ভিন্নতা দেখিয়েছেন। ভাগবতকার যেখানে কালীদহের বিষাক্ত জল বৃন্দাবনবাসীর ব্যবহারোপযোগী করে তোলার জন্য কৃষ্ণকে নাগদমনে নিয়োজিত করেছেন, সেখানে বড়ু চণ্ডীদাস দেখাতে চেয়েছেন যে, সখীদের নিয়ে জলক্রীড়ার করার জন্য কালীদহ বিষমুক্ত করতে কৃষ্ণ সেই জলাশয়ে ঝাঁপ দেন। অচৈতন্য কৃষ্ণের আত্মজ্ঞান ফেরানোর জন্য বলরামের দশাবতার স্তবের মধ্যে ক্রম পরিবর্তিত হয়ে গিয়েছে এই কাব্যে। বরাহপুরাণে কৃষ্ণের নাম আছে অষ্টম স্থানে, সেখানে ''শ্রীকৃষ্ণকীর্তন''-এ কাহিনির প্রয়োজনে তা সবশেষে উল্লিখিত। বস্ত্রহরণের প্রসঙ্গটিও ভাগবত থেকে নেওয়া। তবে ''শ্রীকৃষ্ণকীর্তন''-এ বস্ত্রের সঙ্গে কৃষ্ণ রাধার হারও চুরি করে নেয় এবং সব কিছু ফিরিয়ে দিলেও হারটি নিজের কাছে রেখে দেয়। এই তথ্য ভাগবতে নেই। আখ্যানের বাইরেও পুরাণের প্রভাব আবিষ্কার করা যায় কবি কর্তৃক নানা পৌরাণিক প্রসঙ্গের অবতারণায়। বিভিন্ন চরিত্রের মুখে উপমা ও উৎপ্রেক্ষা স্বরূপ এগুলি সার্থকভাবে প্রয়োগ করেছেন তিনি। পরদারাসক্তির সমর্থনে কৃষ্ণের উক্তিতে এসেছে কুন্তী, রম্ভা ও গঙ্গার প্রসঙ্গ। এর বিপক্ষে রাধা উদাহরণ দিয়েছেন সোম-তারা, ইন্দ্র-অহল্যা ও চণ্ডী কর্তৃক সুন্দ-উপসুন্দ বধের। পুরাণশাস্ত্রে কবির পাণ্ডিত্যের প্রমাণ এগুলি। কিন্তু এইসব দৃষ্টান্ত সত্ত্বেও ''শ্রীকৃষ্ণকীর্তন'' কৃষ্ণমাহাত্ম্যমূলক কাব্য নয়। পুরাণের পরিচিত গল্পকে আশ্রয় করে কবি এতে লৌকিক জীবনের পরিচয়ই প্রকাশ করতে চেয়েছিলেন। মৌলিকতা দেখিয়েছেন রাধা ও কৃষ্ণের চরিত্র চিত্রণে।
''শ্রীকৃষ্ণকীর্তন'' কাব্যের তেরোটি খণ্ডের মধ্যে মোট চার-পাঁচটি খণ্ডে পুরাণের প্রভাব বাদ দিলে অবশিষ্ট খণ্ডগুলি কম-বেশি কবির স্ব-কল্পিত। বিশেষত তাম্বুলখণ্ড, দানখণ্ড, নৌকাখণ্ড, ছত্রখণ্ড, ভারখণ্ড, হারখণ্ড, বাণখণ্ড পুরোপুরি কবির নিজস্ব উদ্ভাবনা। এগুলির কোনও সাহিত্যিক উৎস নেই। আখ্যান-সূত্রে বোঝা যায়, জন্মখণ্ডের পর কাহিনিকে কবি লোকসমাজের রুচি অনুযায়ী পরিবর্তিত করে নেন। দেবতাদের অনুরোধে কৃষ্ণ পৃথিবীতে আসেন বটে, তবে তাঁর মুখ্য কাজ কংসবধ আপাতত গৌণ হয়ে যায়, পরিবর্তে রাধার দেহসম্ভোগে তিনি মত্ত হয়ে ওঠেন। তার জন্য ছলনা, চাতুরী, কৌশল, বলপ্রয়োগ কোনও কিছুতেই দ্বিধা নেই তাঁর। লম্পট পুরুষের মতোই কৃষ্ণের হাবভাব, গ্রাম্য গোঁয়ারের মতো ঔদ্ধত্যপূর্ণ তাঁর কথাবার্তা। জন্মখণ্ডের কর্তব্যপরায়ণ নারায়ণের সঙ্গে এই কৃষ্ণকে কোথাও মিলিয়ে নেওয়া যায় না। পাশাপাশি এটাও দেখা যায় যে, কবি কৃষ্ণকে পদ্মনাভ, চক্রপাণি, গদাধর ইত্যাদি নামে সম্বোধন করে পুরাণের অনুসরণ করেছেন, আবার অন্যদিকে মগর-খাড়ু পরিয়ে, হাতে লগুড় ধরিয়ে গ্রাম্য যুবকে রূপান্তরিত করেছেন। এই বিষয়ে ড. সত্যবতী গিরি তাঁর ''বাংলা সাহিত্যে কৃষ্ণকথার ক্রমবিকাশ'' গ্রন্থে লিখেছেন, “গ্রামীণ সাধারণের রুচিকে পরিতৃপ্ত করার জন্যই কবি কৃষ্ণের এই গ্রাম্যরূপ অঙ্কন করেছেন। নিঃসন্দেহে এটিও কবির লোকমুখিতারই প্রমাণ।” (পৃ. ৬৫)
রাধার ক্ষেত্রে কবি অনেকটাই স্বাধীনতা নিয়েছেন। তার জন্মকাহিনি কোনও পুরাণকে অনুসরণ করে গড়ে ওঠেনি। বস্তুত ভাগবত, বিষ্ণুপুরাণ কিংবা হরিবংশে রাধার উল্লেখও করা হয়নি। ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণে রাধা কৃষ্ণের বিবাহিতা পত্নী, যা অন্য কোনও শাস্ত্রগ্রন্থে দেখা যায় না। এই পুরাণে রাধার পিতামাতার পরিচয়ও আছে। তিনি বৃষভানু ও কলাবতীর কন্যা। আবার পদ্মপুরাণে রাধার মায়ের নাম কীর্তিকা বা কীর্তিদা। বড়ু চণ্ডীদাস এসবের সঙ্গে পরিচিত হয়েও এক নতুন সংবাদ দিলেন—কৃষ্ণের সম্ভোগের জন্য দেবগণের নির্দেশে লক্ষ্মী রাধা হয়ে এলেন। তাঁর পিতা সাগর গোপ, মাতা পদ্মা। রাধাকে কবি প্রথমাবধিই আত্মবিস্মৃত করে রাখলেন। সেই সঙ্গে লৌকিক জনশ্রুতি অনুযায়ী তাঁর বিবাহ দিলেন নপুংসক আইহনের সঙ্গে। ফলে কাহিনির মধ্যে একটা দ্বন্দ্ব সৃষ্টির অবকাশ তৈরি হয়েছে। গড়ে উঠেছে নাটকীয়তা। সতীত্ব-সংস্কারে বাঁধা বিবাহিতা রাধার সঙ্গে দেহলোভী কৃষ্ণের বাগবিতণ্ডা বেশ জমে উঠেছে। রাধার এই কৃষ্ণ-বিমুখতা কবির নিজস্ব কাব্যভাবনার ফসল। তাম্বুলখণ্ডে বড়ায়ির মুখে রাধার রূপবর্ণনা শুনে কৃষ্ণের কামাসক্ত হওয়া এবং বড়ায়িকে দিয়ে তাম্বুল প্রেরণ, রাধা কর্তৃক বড়ায়ির অপমান এবং ক্রুদ্ধ বড়ায়ির কৃষ্ণকে রাধা-লাঞ্ছনার মন্ত্রণা দান কোনও পুরাণেই নেই। আসলে কবি জয়দেবের কাব্য থেকে রাধার পূর্ণায়ত ছবিটি গ্রহণ করলেও তাতে সামাজিকতার রং চড়িয়ে তাঁকে অনেক বেশি বাস্তবের নারী করে তুলেছেন। এই রাধার মধ্যে সংস্কার, অন্ধবিশ্বাস, কামনা-বাসনা, রিরংসা, লোভ, দুঃখ-বেদনা সবই পুঞ্জীভূত হয়েছে। দানখণ্ডের আখ্যানেও দেখা যায়, কৃষ্ণের দানী সেজে বসা, মথুরার ঘাটে তর্ক করা, রাধার দই-দুধ নষ্ট করা, পরিশেষে তাঁর দেহসম্ভোগ পুরাণ-বহির্ভূত বিষয় হিসেবে কাহিনিকে আকর্ষণীয় করে তুলতে সাহায্য করেছে। নৌকাখণ্ডে নৌকার মাঝি সেজে ছল করে রাধাকে সম্ভোগ করতে, ছত্রখণ্ড ও ভারখণ্ডে সঙ্গমলোভে দই-দুধের পসরা বহন করতে এবং রাধার মস্তকে ছত্রধারণ করতে দেখা যায় কৃষ্ণকে। হারখণ্ডে কৃষ্ণ কর্তৃক রাধার হার চুরি, ক্ষুব্ধ রাধার যশোদার কাছে নালিশ, তিরষ্কৃত কৃষ্ণের বাণ মেরে রাধাকে মূর্চ্ছিত করা এবং বড়ায়ির ভর্ৎসনায় রাধার চেতনা সম্পাদন করাও কবির নিজস্ব কল্পনা। বংশীখণ্ডে বাঁশির শব্দে গৃহস্থালির কাজ-ভোলা রাধার ছবি অনবদ্য। এর জন্য কবির কোথাও কোনও ঋণ নেই। বড়ায়ির পরামর্শে রাধা যে কৃষ্ণের বাঁশি চুরি করে আবার ফিরিয়ে দেয় তারও কোনও প্রাচীন উৎস নেই। রাধাবিরহ অংশে বড়ায়িকে বারবার কৃষ্ণ এনে দেওয়ার অনুরোধ, এমনকি শেষ সম্ভোগের পর বড়ায়ির হাতে রাধাকে সমর্পণ করে কৃষ্ণের প্রস্থানও কবির স্ব-কল্পিত। এগুলির একটিও পুরাণ-বর্ণিত ঘটনা নয়। আর এই অংশগুলিতে অশ্লীলতা ও গ্রাম্যতা দোষেরও আধিক্য দেখা যায়।
''শ্রীকৃষ্ণকীর্তন'' কাব্যে অশ্লীলতার প্রসঙ্গটিও একটি বিচার্য বিষয়। মনে রাখতে হবে, এই কাব্য রাজসভার সাহিত্য নয়, গ্রাম্যের অখ্যাত অশিক্ষিত অপরিশীলিত সাধারণ মানুষের চিত্তবিনোদনের উদ্দেশ্যেই এর রচনা। যে পাশ্চাত্য প্রভাবজাত মার্জিত সাহিত্যবোধের আধুনিক পাঠক সাহিত্যকে বিচার করেন, পঞ্চদশ শতকের বাংলায় তার আবির্ভাব ঘটেনি। বরং ভারতীয় সাহিত্যের আদিরসকেই এই কাব্যে বরণ করে নেওয়া হয়েছে। মনে রাখতে হবে, প্রাচীন ভারতে যৌনতাকে বিশিষ্ট জ্ঞানশৃঙ্খলা হিসেবে পাঠ করার রীতি ছিল, যার প্রত্যক্ষ প্রমাণ বাৎস্যায়নের ''কামসূত্রম্''। তাছাড়া ভারতীয় অলংকারশাস্ত্রের রতিই প্রথম ভাব, রসের আদিতে দাঁড়ায় শৃঙ্গার রস। কৃষ্ণের ন্যায় দেবচরিত্রে কলঙ্কের কথা যদি তোলা হয়, তাহলে বলতে হবে সমান দোষে দুষ্ট পুরাণকারও। তাঁরাও দেবরাজ ইন্দ্রকে অগম্যাগামী লম্পট পুরুষ রূপে চিত্রিত করেছেন। মধ্যযুগের ধর্মীয় প্রতিবেশে ''শ্রীকৃষ্ণকীর্তন'' কাব্যের একটি বিশেষ গুরুত্ব আছে। এই কাব্যে ধর্মের আবরণে আসলে কবি শুনিয়েছেন সমকালের জীবনকথা। রাধা ও কৃষ্ণের পৌরাণিক ঐতিহ্যমণ্ডিত নামগুলি সরিয়ে ফেলতে পারলেই সারা কাহিনিতে অনুভব করা যাবে পঞ্চদশ শতকের বাঙালি সমাজকে। তখন কৃষ্ণ আর ঐশী সত্তা থাকেন না, হয়ে পড়েন সামন্ততান্ত্রিক পুরুষ-শাসিত সমাজের ব্যভিচার-দুষ্ট পুরুষ, যে নারীকে লাঞ্ছিত করে কেড়ে নেয় তার নিজস্ব সম্পদ, সামাজিক বলদর্পিতায় পিষ্ট করে নারীর স্বাধীন সত্তা। বুঝতে অসুবিধাই হয় না, বড়ু চণ্ডীদাস আসলে তাঁর কালের ধৃষ্ট কামুক পুরুষ ও লাঞ্ছিতা নারীর কথাই বলতে চেয়েছেন তাঁর কাব্যে, কেবল কালের অনুরোধে তাঁকে গ্রহণ করতে হয়েছে ধর্মের আবরণ। ধর্মের এই অনাবশ্যক অংশটুকু বাদ দিলেই কৃষ্ণকথা পরিণত হতে পারত বিশুদ্ধ মানবকথায়, এবং বাঙালি পাঠক সেদিনই লাভ করতে পারত আধুনিক সাহিত্যের স্বাদ।
===চরিত্রবিচার: কৃষ্ণ, রাধা ও বড়ায়ি===
আখ্যানধর্মী সাহিত্যে চরিত্র এক গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। কাহিনি স্থূল ঘটনামাত্রের বিবরণ নয়, তার পিছনে থাকে পাত্রপাত্রীর সচেতন চিন্তা ও ক্রিয়া। চরিত্র বিবর্তিত হয় ঘটনার মধ্যে দিয়ে। কখনও ঘটনা চরিত্রকে নিয়ন্ত্রণ করে, কখনও চরিত্র নিয়ন্ত্রণ করে ঘটনাকে। এইভাবে তৈরি হয় দ্বন্দ্বময়তা, আখ্যানে আসে গতি। ঘটনা ও চরিত্রের আপেক্ষিক প্রাধান্য বিচার করলে দেখা যায়, মধ্যযুগের কবিরা ঘটনাকেই বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন, চরিত্রের অন্তঃরহস্য উদ্ঘাটনে ততটা যত্নবান হননি। অথচ চরিত্র-বিশ্লেষণের মাধ্যমেই তাঁদের প্রতিভার পূর্ণ বিকাশ সম্ভব হত, যেহেতু তাঁদের কাব্যের আখ্যানবৃত্ত ছিল পূর্বনির্ধারিত। অল্প যে কয়েকজন কবি এর ব্যতিক্রম বড়ু চণ্ডীদাস তাঁদের অন্যতম। আখ্যান-বিন্যাসে যেমন তিনি পুরাণকে অতিক্রম করে মৌলিকতার সাক্ষর রেখেছেন, তেমনই চরিত্রগুলিও তাঁর হাতে পেয়েছে অন্য মাত্রা।
====কৃষ্ণ====
''শ্রীকৃষ্ণকীর্তন'' কাব্যের কৃষ্ণ চরিত্রটি সম্পর্কে শঙ্করীপ্রসাদ বসু তাঁর ''মধ্যযুগের কবি ও কাব্য'' গ্রন্থে মন্তব্য করেছেন, “শ্রীকৃষ্ণকীর্তনের শ্রেষ্ঠত্বের সবটুকু আত্মসাৎ করিয়াছে রাধা। যাহার নাম কীর্তন করিতে কাব্যটির রচনা সেই শ্রীকৃষ্ণই উহার দোষের আশ্রয়। কাব্যটির যত কিছু দুর্নাম কৃষ্ণের জন্যই।” এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে দুটি কথা বলা যায়। প্রথমত, বড়ু চণ্ডীদাস যে কৃষ্ণের মাহাত্ম্যকীর্তনের জন্য কাব্য রচনা করেননি তার প্রমাণ ''শ্রীকৃষ্ণকীর্তন''-এই পাওয়া যায়। তাছাড়া এই কাব্যের নামকরণও যে কবিই করেছেন, তার কোনও উপযুক্ত প্রমাণ উপস্থিত করা সম্ভব হয়নি। দ্বিতীয়ত, কাব্যের দোষ কাব্য-বর্ণিত কোনও চরিত্রের স্বভাব বা প্রকৃতির উপর নির্ভর করে না, করে অলংকারশাস্ত্রে কথিত নানা মানদণ্ডের উপরে। রসাভাসে বা অঙ্গীরসের পরিস্ফুটনে বাধা সৃষ্টি হলে কাব্যে দোষ দেখা যায়। ''শ্রীকৃষ্ণকীর্তন'' এইসব ত্রুটি থেকে মুক্ত। আসলে এই কাব্যের কৃষ্ণ জয়দেবের ধীরললিত নায়ক কিংবা চৈতন্য-পরবর্তী যুগের গৌড়ীয় বৈষ্ণব দর্শনের তত্ত্বময় কৃষ্ণ নয় বলে পাঠকের অভ্যস্থ রসসিদ্ধ সংস্কারে আঘাত লাগে। এই কৃষ্ণ শাস্ত্রবর্ণিত দেবতা নয়, বরং কবির সমাজবোধ-প্রসূত রক্তমাংসের মানুষ। প্রকৃতপক্ষে দেবত্বের মোড়কে তিনি তাঁর যুগের লম্পট মানবিকতাবোধশূন্য কামুক পুরুষকেই হাজির করেছেন কাব্যের কাঠামোয়। অর্থাৎ কৃষ্ণ চরিত্র চিত্রণে কবিকে দুই দিক সামলে চলতে হয়েছে। একদিকে তাঁকে রক্ষা করতে হয়েছে কৃষ্ণের প্রথাগত দেবতা এবং অনুদিকে তাঁকে ফুটিয়ে তুলতে হয়েছে তাঁর সমকালের সাধারণ মানুষের বাস্তব আচরণকে। এইভাবে জোড়াতালি দিতে গিয়ে তিনি যে সব দিকে সঙ্গতি রক্ষা করতে পেরেছেন তা নয়, তবে তাঁর চেষ্টার মধ্যে যে আন্তরিকতা ও অভিনবত্ব ছিল তাতে কোনও সন্দেহ নেই।
জন্মখণ্ড থেকে রাধাবিরহ পর্যন্ত সর্বত্রই কৃষ্ণের উপস্থিতি। তবে প্রথম দিকে সেই উপস্থিতি যতটা সক্রিয় ও প্রত্যক্ষ, শেষ দিকে তা ক্রমশ হ্রাস পেয়েছে। বংশীখণ্ডে ও রাধাবিরহে কৃষ্ণকে অবলম্বন করে মুখ্যত রাধা চরিত্রেরই বিকাশ দেখিয়েছেন কবি।
জন্মখণ্ডের কৃষ্ণ ঐশী ভাবান্বিত এক পরম সত্তা। পুরাণপুরুষের আবির্ভাব কাহিনি এখানে সংক্ষেপে বর্ণিত হয়েছে পুরাণের অনুসরণ করেই। কৃষ্ণের প্রথাগত দেবত্ব রক্ষা করা হয়েছে পুতনা-বধ, যমলার্জুন ভঙ্গ ও কেশী দানব বিনাশের পৌরাণিক কাহিনির অবতারণায়।
ভাগবতের এই ঐশ্বর্যময় কৃষ্ণ তাম্বুলখণ্ডে এসে হঠাৎ প্রকৃতি বদল করে ফেলে। এখান থেকেই সে পরিপূর্ণ গ্রাম্য গোপযুবক। সে উদ্ধত, হঠকারী, একগুঁয়ে, হৃদয়হীন ও নারীদেহ-লোলুপ। ভূ-ভার হরণের জন্য যে তার আবির্ভাব সে কথা সে যেন সম্পূর্ণ বিস্মৃত। বড়ায়ির মুখে রাধার রূপবর্ণনা শুনে সে এক লালসাদীপ্ত কামুকে পরিণত। তার সমস্ত প্রচেষ্টার মধ্যে রাধাকে করায়ত্ত করার বাসনাই প্রকট। প্রথমে তাম্বুল প্রেরণ করে সে ভদ্রভাবে মিলনের প্রস্তাব জানায়, রাধা তা অপমান করে প্রত্যাখ্যান করলে সে ক্রুদ্ধ হয়ে ওঠে। দানখণ্ডে ও নৌকাখণ্ডে সে এই অপমানের প্রতিশোধ নেয় ছলে বলে কৌশলে করে রাধার সঙ্গে মিলিত হয়ে। এই দুটি খণ্ডে তো বটেই, ভারখণ্ডে ও ছত্রখণ্ডেও কৃষ্ণের দেবত্ব তলানিতে এসে ঠেকে যখন সে ‘সুরতি’ লাভের লোভে সমস্ত মানসম্মান বিসর্জন দিয়ে রাধার দই-দুধের ভার বহন করে এবং তার মাথায় ছত্রধারণ করে।
বৃন্দাবনখণ্ডের কৃষ্ণ কিছুটা জয়দেব-অনুসারী, তবু কবি এখানে কৃষ্ণ চরিত্রে বিশিষ্টতা এনেছেন। জয়দেবের কাব্যভাষার অনুবাদ যেন কৃষ্ণের মুখে, “তোহ্মে সে মোহোর রতন ভূষণ তোহ্মে সে মোহোর জীবন”। আবার জয়দেবের কৃষ্ণ রাধাকে ত্যাগ করে অন্যান্য গোপিনীদের সঙ্গে বিহার করলেও বড়ু চণ্ডীদাসের কৃষ্ণ রাধার অনুরোধে গোপিনীদের সঙ্গে বিহাররত।
কালীয়দমনখণ্ডে কবি কৃষ্ণকে ফিরিয়ে নিয়ে যান পুরাণবৃত্তে। জলক্রীয়ায় ইচ্ছুক কৃষ্ণ বীরত্ব সহকারে বিষাক্ত জলে নেমে দর্পের সঙ্গে কালীয়নাগ দমন করে। ভাগবতের কাহিনি হলেও দুষ্ট কৃষ্ণের আর-এক রূপ পাওয়া যায় বস্ত্রহরণখণ্ডে। কবি গ্রাম্য আচরণে অভ্যস্থ যৌবনলোভী যুবকের ছবি এঁকেছেন এখানে। রাধার আকুতিতে তার বসন ফিরিয়ে দিলেও কৃষ্ণ হার গোপন রাখে। রাধা অভিযোগ জানান যশোদার কাছে। মায়ের কাছে ভর্ৎসিত কৃষ্ণ ক্রুদ্ধ হয়ে ওঠে। প্রতিশোধ নিতে সে বাণখণ্ডে হৃদয়হীনতার পরিচয় দিয়ে রাধাকে বাণে সংজ্ঞাহীন করে।
''শ্রীকৃষ্ণকীর্তন'' কাব্যের এই পর্যায় থেকে দেখা যায়, রাধার প্রতি কৃষ্ণের পূর্বের আকর্ষণ প্রায় তিরোহিত। এর সঙ্গত কারণ কবি নিজেই ব্যাখ্যা করেছেন। যে যৌন-আকাঙ্ক্ষা প্রথমাবধি কৃষ্ণকে চালিত করেছে, এখন তার পরিপূর্ণ তৃপ্তিতে কৃষ্ণ রাধার প্রতি বিগতস্পৃহ হয়ে পড়েছে। ‘কামী’ কৃষ্ণ এখন ‘গততৃষ্ণ’ কৃষ্ণে পরিণত। তাই রাধার সামান্য অপরাধ সে ক্ষমা করতে পারে না। তুচ্ছ কারণে সে নিজেকে সরিয়ে নিতে চায় সমাজ ও সংসার থেকে বিচ্ছিন্না রাধার কাছ থেকে। কৃষ্ণের এই নির্মমতা সত্যই সমালোচনার যোগ্য। তাই দেখা যায়, যে বড়ায়ি এতদিন কৃষ্ণকে নানাভাবে পরামর্শ দিয়ে রাধার সতীত্বের দর্প চূর্ণ করতে সাহায্য করেছে, এখন সেই বর্ষীয়সী অভিভাবিকাই তিরস্কার করছে ‘দেব বনমালী’ রাধাকে সংজ্ঞাহীন করে দিয়েছে বলে। বড়ায়ি ভর্ৎসনা না করলে কৃষ্ণ রাধার সংজ্ঞা ফিরিয়ে আনত কিনা সন্দেহ।
রাধা সম্পর্কে কৃষ্ণের এই শীতলতা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেয়েছে বংশীখণ্ডে ও রাধাবিরহে। এতক্ষণ কৃষ্ণের আচরণ অভব্য ও অশালীন ছিল বটে, কিন্তু শিশুসুলভ ছিল না। কিন্তু বংশীখণ্ডে দেখা গেল পূর্বাপরসঙ্গতিবিহীন এক কৃষ্ণকে। সে নিস্পৃহ চিত্তে একাকী বৃন্দাবনে বসে বাঁশি বাজায়। সে বাঁশির শব্দে রাধার চিত্ত চঞ্চল হয়ে ওঠে। কৃষ্ণকে না পেয়ে বড়ায়ির পরামর্শে রাধা বাঁশি চুরি করে। বাঁশি না পেয়ে কৃষ্ণ অবোধ বালকের মতো কাঁদতে থাকে। শেষে বড়ায়ির বুদ্ধিতে করজোড়ে রাধা ও গোপীদের কাছে করুণ স্বরে বাঁশি ফেরৎ চায় সে। বলা বাহুল্য, কৃষ্ণ চরিত্রের পূর্বের গাম্ভীর্যটুকু সম্পূর্ণ বিনষ্ট হয়েছে এখানে।
রাধাবিরহেও কৃষ্ণ চরিত্র একই রকম সামঞ্জস্যহীন। রাধার বিষয়ে তার ক্রমবর্ধমান অনীহা খণ্ডটির প্রথম ও শেষ দিকে বজায় থাকলেও মধ্যাংশে, বিশেষত মিলনের পর, কৃষ্ণের আচরণ বিস্ময়করভাবে অন্য রকম। বড়ায়ির অনুরোধেই কৃষ্ণ মথুরা ছেড়ে বৃন্দাবনে এসেছে কেবল রাধার সঙ্গে মিলিত হতে। লক্ষণীয়, কৃষ্ণ এবার নিষ্ঠুর হয়েও পুরোপুরি নির্মম হতে পারেনি। মিলনকালে তো বটেই, মিলনের পরেও কৃষ্ণের কয়েকটি আচরণ বেশ অপ্রত্যাশিত। সে তৎক্ষণাৎ স্থান পরিত্যাগ করে না, রতিক্লান্ত সঙ্গিনীর পরিচর্যা করে:
<poem>
:: নব কিশলয়ত শয্যা রচিল।
:: নিজ উরুতলে তাক নিশ্চলে রাখিল।।
</poem>
নিদ্রিতা রাধার যাতে কোনও ক্ষতি না হয়, সেজন্যও কৃষ্ণের কত আয়াস। মথুরায় যাওয়ার আগে বড়ায়ির হাতে রাধাকে অর্পণ করে তার রক্ষণাবেক্ষণের ভার দিয়ে যায় সে। কামুক কৃষ্ণের এই হঠাৎ জেগে-ওঠা কর্তব্যবোধের কোনও ব্যাখ্যা পাওয়া যায় না। সমগ্র ''শ্রীকৃষ্ণকীর্তন''-এ কেবল এই অংশটুকুতে প্রেমিক কৃষ্ণ এক ঝলক উঁকি দিয়েই চিরতরে হারিয়ে যায়। গ্রন্থ শেষ হয়েছে রাধার প্রতি বিতৃষ্ণ কৃষ্ণের উক্তিতে:
<poem>
:: শতকী না কর বড়ায়ি বোঁলো মা তোহ্মরে।
:: জায়িতেঁ না ফুরে মন নাম শুণী তারে।।
:: যত দুখ দিল মোরে তোম্ভার গোচরে।
:: হেন মন কৈলোঁ আর না দেখিবোঁ তারে।।
</poem>
কৃষ্ণের এই হৃদয়হীন উক্তি ও আচরণ তাকে কাঠগড়ায় দাঁড় করায়। কারণ, এ কাব্যে সে স্বর্গের দেবতা নয়, দেবতার খোলসে ঢাকা রক্তমাংসের কামতাড়িত দোষগুণান্বিত পার্থিব মানুষ।
====রাধা====
বড়ু চণ্ডীদাসের খ্যাতি মূলত তাঁর রাধা চরিত্রটির জন্য। ''শ্রীকৃষ্ণকীর্তন'' কাব্যের রাধা তত্ত্ব বা পুরাণ-সম্ভূত চরিত্র নয়, একজন সামান্যা নারী। কিন্তু সৃষ্টিকৌশলে সে হয়ে উঠেছে অসামান্যা। প্রাচীন শাস্ত্রগ্রন্থে রাধার নাম নেই; অর্বাচীন পুরাণেও তথ্যে নানা পার্থক্য দেখা যায়। বড়ু চণ্ডীদাস রাধার জন্মেতিহাস রচনা করেছেন নিজের মতো করে। বৈকুণ্ঠের লক্ষ্মী “কাহ্নাঞির সম্ভোগ কারণে” দেবতাদের নির্দেশে রাধা দেহ ধারণ করে মর্ত্যে আবির্ভূতা। কিন্তু স্বাধীন কল্পনার আশ্রয় নিয়ে কাব্যের দ্বন্দ্ব আকর্ষণীয় করতে কবি তাকে করেছেন আত্মবিস্মৃত। লোকশ্রুতিতে রাধা নপুংসক আইহনের পত্নী। সেই লোকশ্রুতি অনুসারেই কবি অল্পবয়সী বিবাহিতা রাধার দাম্পত্যজীবনের ছবি এঁকেছেন। সেই সূত্রে রাধার চারপাশে তৈরি হয়েছে একটি সামাজিক পরিচিতির বলয়, বাস্তব সংসারের রমণীর লৌকিক সুখ-দুঃখ, কামনা-বাসনা, রাগ-দেষ, আবেগ-আর্তি, বিশ্বাস-সংস্কার তার মধ্যে নিহিত। অথচ বড়ু চণ্ডীদাস যাঁর দ্বারা সবচেয়ে বেশি অনুপ্রাণিত সেই জয়দেবের কাব্যে রাধা কল্পলোকসম্ভব রোম্যান্টিক নায়িকার গণ্ডী অতিক্রম করতে পারেনি। আসলে বাস্তব-সচেতন জীবনশিল্পীর চোখ দিয়েই কাব্যের চরিত্রকে দেখতে চেয়েছিলেন বড়ু চণ্ডীদাস; কোনও তত্ত্ব, আবেগ বা ভাবাতিরেক তাঁকে চালনা করেনি। এইজন্য পদাবলির চণ্ডীদাসের রাধা কেবল কৃষ্ণনাম শ্রবণেই মিলনোৎকণ্ঠায় কালযাপন করেন, কিন্তু বড়ু চণ্ডীদাসের রাধা সতীত্ব-সংস্কারের তাড়নায় প্রথমে কৃষ্ণের কুপ্রস্তাবে ক্রুদ্ধ হয়ে ওঠে। রাধার এই প্রতিক্রিয়া স্বাভাবিক। কারণ কবি তাকে পঞ্চদশ শতকের বাংলার পুরুষশাসিত সমাজে স্থাপন করে তার সংকট, সীমাবদ্ধতা, আনন্দ, আবেগ, ক্রোধ, মোহ ইত্যাদিকে মূর্ত করে তুলতে প্রয়াসী হয়েছেন। একজন দক্ষ মনস্তাত্ত্বিক শিল্পীর মতো এই চরিত্রের ক্রমিক উন্মোচনেও যত্নবান হয়েছেন তিনি। কৃষ্ণের অনাবৃত কামবাসনার সূত্রে এর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িয়ে আছে যৌন-মনস্তত্ত্বও। এক রতি-অনভিজ্ঞা নারীর ক্রমশ দেহসুখের মধ্যে দিয়ে প্রেমের অমরাবতীতে উত্তীর্ণ হওয়ার যাত্রাপথ চিত্রিত হয়েছে এখানে। প্রেম শিকড়হীন কল্পলতা বা নিরালম্ব কোনও মানসিক আবেগ নয়, তার সঙ্গে অবিচ্ছেদ্যভাবে জড়িয়ে আছে দেহভাবনা—এই বিশ্বাসে ভর করেই কবি রাধাকে রূপ দিয়েছেন, নানা ঘটনার মধ্যে দিয়ে দেখিয়েছেন তার সঙ্গতিপূর্ণ বিবর্তন।
বড়ু চণ্ডীদাস রাধার উদ্দেশ্যে যে বিশেষণগুলি ব্যবহার করেছেন, তাতেই রাধার রূপলাবণ্যের কমনীয়তা ধরা পড়েছে। নাবালিকা কুলবধূ এই রাধা ‘শিরীষকুসুম কোঁঅলী’, ‘অদ্ভুত কনকপুতলী’ ও ‘তীনভুবনজন মোহিনী’। কিন্তু সাধারণ গোপরমণী হিসেবে সংসার নির্বাহ করতে মথুরার হাটে তাকে দই-দুধ বেচতে যেতে হয়। তার রক্ষণাবেক্ষণে নিযুক্ত বড়ায়ির। এই বড়ায়ির মুখে রাধার রূপলাবণ্যের কথা শুনে কৃষ্ণ তাম্বুল দিয়ে মিলনের প্রস্তাব জানালে সতীত্ব-সংস্কারে আবদ্ধা রাধা ক্ষিপ্ত হয়। বড়ায়িকে সে স্পষ্ট জানিয়ে দেয়:
<poem>
:: ঘরের স্বামী মোর সর্বাঙ্গে সুন্দর আছে সুলক্ষণ দেহ।
:: নান্দের ঘরের গরু রাখোয়াল তা সমে কি মোর নেহা।।
</poem>
বীরপত্নী হওয়ার গর্বও তার কম নয়। সে বড়ায়িকে প্রহার করে তাম্বুলে লাথি মেরে প্রকারান্তরে কৃষ্ণকেও অপমান করে। বস্তুত দেহ-মনের দুর্বলতাহীন এই সতীত্ববোধ ভারতীয় নারীর চিরকালের সম্পদ। রাধার আত্মমর্যাদাপূর্ণ বলিষ্ঠ ঘোষণা তাকে স্বতন্ত্র নারীব্যক্তিত্বে প্রতিষ্ঠিত করতে সাহায্য করে। কিন্তু যে সমাজ স্বৈরাচারী পুরুষের অধীনে, সেই সমাজে নারীর এই স্বাধীন অবস্থান দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে না। রাধার ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। কৃষ্ণে একে কামাতুর, তার উপর সামান্য নাবালিকা কর্তৃক অপমানিত। লাঞ্ছিতা বড়ায়িও তারই পক্ষে। অতএব দানখণ্ডে প্রবল তর্কাতর্কির পর কৃষ্ণের গায়ের জোরের কাছে সহজেই হার হয় রাধার। মথুরার ঘাটে কপট দানী কৃষ্ণ জোর করে রাধার সঙ্গে মিলিত হয়। মিলনের পূর্বে সে কৃষ্ণকে বারবার সাবধান করে দেয় যেন তার অঙ্গসজ্জা নষ্ট না হয়। অর্থাৎ এই মিলনকে সে গোপন রাখতে চায়। নৌকাখণ্ডে আবার ছলনাময় কৃষ্ণের ফাঁদে ধরা দিয়ে আত্মসমর্পণ করতে হয় রাধাকে। তবে এবার ভয় ও লজ্জা মিশ্রিত এক আকাঙ্ক্ষা জেগে ওঠে তার মনে। অনিচ্ছা ও ক্ষীণ প্রতিরোধ সত্ত্বেও রাধার মনে কোথাও যেন মিলনসুখের অঙ্কুর দেখা দেয়: “রাধার মনত তবেঁ জাগিল মদন”। তাই এবারের মিলনের কথা রাধা গোপন করে বড়ায়ির কাছে, কৃষ্ণের অত্যাচারের কথা চেপে গিয়ে বরং তার উপকারের প্রসঙ্গ তুলে ধরে:
<poem>
:: ডুবিআঁ মরিতোঁ যবেঁ না থাকিত কাহ্নে।
:: আত্মা লআঁ সান্তরিআঁ রাখিল পরাণে।।
:: এবার কাহ্নাঞিঁ বড় কৈল উপকার।
:: জরমেঁ সুঝিতেঁ নারোঁ এ গুণ তাহার।।
</poem>
এখন থেকে রাধা কৃষ্ণের কাছে তার মূল্য বোধে, অনুমান করতে পারে কৃষ্ণের দুর্বলতাও। সেই অভিজ্ঞতাকেই রাধা এবার দক্ষতার সঙ্গে ব্যবহার করে ভারখণ্ডে ও ছত্রখণ্ডে। ‘সুরতি’ দানের লোভ দেখিয়ে ভার ও ছত্র বহন করায় বটে, কিন্তু কৃষ্ণের প্রত্যাশা পূরণ করে না। আবার এটাও লক্ষণীয় যে, এক নপুংসকের স্ত্রী হিসেবে উদ্ভিন্নযৌবনা রাধার মধ্যে পরপুরুষের দেহসম্বন্ধের ফলে জাত কামবাসনা পরিতৃপ্তির জন্য অন্য কোনও বৈধ পথও খোলা নেই। অতএব নৌকাখণ্ডে অঙ্কুরিত দেহচেতনা এবার বৃন্দাবনখণ্ডে শাখাপ্রশাখা বিস্তার করে। কৃষ্ণ নয়, এবার রাধা নিজেই মিলনাকাঙ্ক্ষী হয়ে বড়ায়ির কাছে ব্যাকুলতা প্রকাশ করে। এমনকি বৃন্দাবনে যাওয়ার জন্য শাশুড়ির অনুমতি লাভে নতুন কৌশল ফাঁদে। কৃষ্ণ অন্যান্য গোপিনীর সঙ্গে বিহার করলে রাধার মনে মানের উদয় হয়। প্রেমে অধিকারবোধ না জন্মালে তথা প্রেম পরিপক্ক না হলে এই মান বা ঈর্ষা জাগ্রত হওয়া সম্ভব নয়। কালীয়দমনখণ্ডে আরও একধাপ এগিয়ে যায় রাধা। কৃষ্ণ মূর্চ্ছিত হয়ে পড়লে আতঙ্কিত রাধা সর্বসমক্ষে ‘পরাণ পতী’ বলে উল্লেখ করে; কৃষ্ণবিহনে যে তার ধন-জন, জীবন-যৌবন সবই বিফল সে-কথাও জানায় বিলাপের কালে।
পরবর্তী দুই খণ্ডে অবশ্য রাধা চরিত্র একটু খাপছাড়া। কেউ কেউ একে “মানের এক এক পর্যায়” বলে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করেছেন বটে, কিন্তু হারখণ্ডে যশোদার কাছে রাধার নালিশ জানানোর ঘটনাটিকে সেভাবে ব্যাখ্যা করা কঠিন। সম্ভবত কাহিনির প্রয়োজনের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে চরিত্রাঙ্কন করতে গিয়েই এই ত্রুটি ঘটেছে। যাই হোক, যশোদা কর্তৃক তিরস্কৃত কৃষ্ণ এবার নির্মম হয়ে ওঠে এবং পূর্বসম্বন্ধ একপ্রকার বিস্মৃত হয়েই প্রতিশোধ গ্রহণের জন্য ফুলশর দিয়ে রাধাকে মূর্চ্ছিত করে। পরবর্তী দুই খণ্ডে যে মিলন-ব্যাকুল রাধাকে দেখা যায়, সেও এই পুষ্পধনুর অদৃশ্য প্রতিক্রিয়ার দিকে ইঙ্গিত করে। কারণ, এর আগে রাধাকে এতটা বিহ্বল হতে দেখা যায়নি। এবার তার দ্বিধা, সংকোচ, জড়তা কিছুই নেই। ভালো করে লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, বংশীখণ্ডের ও রাধাবিরহের রাধা তীব্রভাবে দেহবাসনাকেই তুলে ধরেছে। কৃষ্ণের মোহনবাঁশির স্বর তাকে উন্মনা করে, মিলনে প্রলুব্ধ করে। কিন্তু কোথাও প্রিয়তমকে না পেয়ে সুযোগ বুঝে বাঁশি লুকিয়ে রেখে মনের যন্ত্রণা লাঘব করতে চায় সে। আবার কৃষ্ণের আকুল অনুরোধে সাড়া দিয়ে বাঁশি ফেরৎ দিতেও সে দ্বিধা করে না।
রাধাবিরহের অধিকাংশ পদেই ক্রন্দনরতা রাধার বিরহের দীর্ঘশ্বাস প্রতিধ্বনিত। অমিত্রসূদন ভট্টাচার্য লিখেছেন, “রাধাবিরহ অংশে রাধার যে বেদনা তাহা নিতান্ত ব্যক্তিগত বেদনা নয়। বেদনার সুর ব্যক্তিকে অতিক্রম করিয়া সর্বকালের সর্বদেশের বিরহ-বেদনার সুরের সহিত মিলিত হইয়াছে।” এই রাধার সঙ্গে মিল পাওয়া যাবে পদাবলির ভাবতন্ময়া পূর্বরাগাশ্রিতা রাধার। কিন্তু এই পর্যায়েও রাধার আবেগ দেহকে অতিক্রম করে অপার্থিব প্রেমের পথে অগ্রসর হতে পারেনি। প্রমাণ বড়ায়ির উক্তি, কৃষ্ণের বিদ্রূপ এবং রাধার নিজের আক্ষেপ। রাধা যখন বারবার কাতর হয়ে কৃষ্ণকে এনে দেওয়ার অনুরোধ জানায়, তখন অভিজ্ঞা বৃদ্ধা বড়ায়ি তার এই সুগভীর আর্তির পিছনে কিসের উত্তেজনা তা বুঝতে পারে। একদিন যে কৃষ্ণের মিলন-প্রস্তাব ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে, এখন তাকে আঘাত দিয়ে বড়ায়ি বলে:
<poem>
:: এবেঁ ঘুসঘুসাআঁ পোড়ে তোর মন।
:: পোটলী বান্ধিআঁ রাখ নহুলী যৌবন।।
</poem>
রাধা বড়ায়ির কাছে যে কথা জানিয়ে কৃষ্ণকে আনার অনুরোধ করেছে সেগুলির মধ্যে কয়েকটি এইরকম: "আয়িস ল বড়ায়ি রাখহ পরাণ সহিতেঁ নারোঁ মনমথবাণ।।", "ঝাঁট করি কাহ্নাঞিঁ আনাওঁ। রতি সুখে রজনী পোহাওঁ।।", "পীন কঠিন উচ তনে কাহ্নাঞি পাইলেঁ দিবোঁ আলিঙ্গনে।।", "উন্নত যৌবন মোর দিনে দিনে শেষ"। এগুলি কামোন্মত্ত বিহ্বল দেহসুখপ্রত্যাশী নারীর কথা, তা বলে দেওয়ার অপেক্ষা রাখে না। রাধাবিরহের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ পদে ‘যৌবন’, ‘মনমথ’ ও ‘সুরতী’ শব্দ তিনটি বারবার ব্যবহার করে কবি বুঝিয়ে দিয়েছেন নির্জলা দেহকামনা কেমন করে বেষ্টন করে আছে যুবতী রাধাকে। রাধার অনুরোধে বড়ায়ি গিয়ে কৃষ্ণকে নিয়ে এলে সে যেভাবে রাধার সঙ্গে বাক্যবিনিময় করেছে, তাতে দেখা যায় কৃষ্ণ রাধার মদনপীড়াটি যথাযথভাবে অনুধাবন করতে পেরেছে। নইলে সে বিদ্রূপ করে নপুংসক আইহনের কথা তুলে বলত না, “ঘরে গিআঁ সেব তোহ্মে আইহন পতী”।
কিন্তু শেষপর্যন্ত বহু অনুরোধে একবার মিলন এবং চিরজীবনের জন্য নিষ্ঠুর প্রত্যাখ্যান ছাড়া আর কিছুই জোটে না রাধার। এই সমাজের নারীভাগ্যই যেন রাধার এক দুঃখময় জীবনবৃত্তে প্রতিবিম্বিত। ড. সত্যবতী গিরি তাই লিখেছেন, “শ্রীকৃষ্ণকীর্তনের রাধা পুরুষশাসিত সমাজে পুরুষের কামনার বলিমাত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে।... তার মন যখন পারিবারিক ও সামাজি পরিবেশের প্রথাবদ্ধ নিশ্চিন্ত নিরাপত্তার মধ্যে নিজের অস্তিত্বের অবস্থানে আনন্দিত, তখন নিজের কামনা চরিতার্থ করার জন্য এক পুরুষ তার অনিচ্ছুক শরীরের উপর বলাৎকার করেছে। আর সেই কারণেই সরল সুস্থ নারীর মন ও শরীর দুই-ই যখন সেই পুরুষকে পাওয়ার জন্য আকুল, তখন সে নিষ্ঠুরভাবে প্রত্যাখ্যাত।... অনিচ্ছুক বা ইচ্ছুক রাধার উভয় প্রান্তই এই সমাজে নারীভাগ্যের সীমানা। কৃষ্ণের হাতে আত্মসমর্পণের অনিচ্ছা প্রকাশে সে বিদ্রোহিনী, আবার আত্মনিবেদনে ইচ্ছুক রাধাও সামাজিক বিধানের বিরুদ্ধে বিদ্রোহিনী। কিন্তু কোন ক্ষেত্রেই তার বিদ্রোহ সফল নয়। সে সামন্ত-শাসিত বাঙালি সমাজের প্রথম নতজানু বিদ্রোহিনী।”
raa2z1zjnjrjo708rmkndw8yro9socu
সবকিছুর জন্যেই ইন্টারনেট?/ওপেনসোর্স ও মালিকানাভিত্তিক প্রযুক্তি
0
27256
85807
2025-07-07T22:55:50Z
MS Sakib
6561
MS Sakib [[সবকিছুর জন্যেই ইন্টারনেট?/ওপেনসোর্স ও মালিকানাভিত্তিক প্রযুক্তি]] কে [[সবকিছুর জন্যেই ইন্টারনেট?/উন্মুক্ত উৎসের ও মালিকানাভিত্তিক প্রযুক্তি]] শিরোনামে স্থানান্তর করেছেন
85807
wikitext
text/x-wiki
#পুনর্নির্দেশ [[সবকিছুর জন্যেই ইন্টারনেট?/উন্মুক্ত উৎসের ও মালিকানাভিত্তিক প্রযুক্তি]]
gsqkl8ezbbpzyylj37tdvwgqx1g7897
আলাপ:সবকিছুর জন্যেই ইন্টারনেট?/ওপেনসোর্স ও মালিকানাভিত্তিক প্রযুক্তি
1
27257
85809
2025-07-07T22:55:51Z
MS Sakib
6561
MS Sakib [[আলাপ:সবকিছুর জন্যেই ইন্টারনেট?/ওপেনসোর্স ও মালিকানাভিত্তিক প্রযুক্তি]] কে [[আলাপ:সবকিছুর জন্যেই ইন্টারনেট?/উন্মুক্ত উৎসের ও মালিকানাভিত্তিক প্রযুক্তি]] শিরোনামে স্থানান্তর করেছেন
85809
wikitext
text/x-wiki
#পুনর্নির্দেশ [[আলাপ:সবকিছুর জন্যেই ইন্টারনেট?/উন্মুক্ত উৎসের ও মালিকানাভিত্তিক প্রযুক্তি]]
03x9u34wre5y9omxiaudnsim08r6me7
উইকিবই:উইকিবই লিখন প্রতিযোগিতা ২০২৫/ফলাফল
4
27258
85814
2025-07-08T04:19:46Z
MdsShakil
7280
"{{উইকিবই লিখন প্রতিযোগিতা ২০২৫|সক্রিয়=7}}" দিয়ে পাতা তৈরি
85814
wikitext
text/x-wiki
{{উইকিবই লিখন প্রতিযোগিতা ২০২৫|সক্রিয়=7}}
sgon0ro408m1dbysij10tz47u4nm6v1
85829
85814
2025-07-08T08:59:35Z
Maruf
8010
সম্প্রসারণ
85829
wikitext
text/x-wiki
{{উইকিবই লিখন প্রতিযোগিতা ২০২৫|সক্রিয়=7}}
== [[বাবহারকারী:Ei to ami akash|Ei to ami akash]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|১ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/যুক্তিবিদ্যা/প্রকরণ যুক্তি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩৪৩
|-
|২ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/নকশা/প্রারম্ভিক অংশ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৬৮১
|-
|৩ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/নকশা/নথির বিন্যাস/সংগঠনের ধরন]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৪৬০
|-
|৪ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/নকশা/চিত্র]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৭৯৮
|-
|৫ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/নকশা/চিত্রপট]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৮৭১
|-
|৬ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/দর্শনের উদ্ভব]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৪৭৬
|-
|৭ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/যুক্তিবিদ্যা/যুক্তি ও কারণ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১০৭৮
|-
|৮ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/বৌদ্ধ দর্শন কী?]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৯৮০
|-
|৯ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/নৈতিকতা কী?]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৪৩৫
|-
|১০ || [[কোয়ান্টাম জগৎ/প্রভাব ও প্রয়োগ/শক্তি কোয়ান্টাইজড কেন]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ৩৯৩
|-
|১১ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/MIMO সিস্টেমের জন্য স্বত্বমান নির্ধারণ]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৭৭৮
|-
|১২ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/তারের অনুপ্রস্থ কম্পন]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৩৯০
|-
|১৩ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/কার্টেসীয় স্থানাঙ্কে শব্দতরঙ্গ সমাধান]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২৪৩
|-
|১৪ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/শব্দতরঙ্গ সমীকরণ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৪৩০
|-
|১৫ || [[অধ্যয়ন দক্ষতা/বিকল্প কৌশল]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৬৪১
|-
|১৬ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/সময়-ডোমেইন সমাধান]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ১৩৮
|-
|১৭ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/স্থিতিস্থাপক কঠিন পদার্থে তরঙ্গগতি]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩৪৮
|-
|১৮ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/শব্দকোষ/বই সংস্করণ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১২৮
|-
|১৯ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/শ্রেণীবিন্যাস]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৫৮৪
|-
|২০ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/রসায়নিক পদার্থ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৬১৮
|-
|২১ || [[তড়িৎ ও চুম্বক/স্থির তড়িৎ/কুলম্বের সূত্র]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৩৩৮
|-
|২২ || [[সাধারণ বলবিজ্ঞান/টর্ক ও কৌণিক ভরবেগ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৫৩৯
|-
|২৩ || [[তড়িৎ ও চুম্বক/চুম্বকত্ব/ভেক্টর গুণফল]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ১৩২
|-
|২৪ || [[সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/সংস্কৃতি]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৩৩৭৯
|-
|মোট পাতা:||২৪||মোট শব্দ:||২২২০১
|}
== [[বাবহারকারী:MD Abu Siyam|MD Abu Siyam]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|১ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/স্ট্রিং ডেটা টাইপ]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ৫১৭
|-
|২ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/শ্রবণের পরিবাহী প্রক্রিয়া]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৮০
|-
|৩ || [[ত্রিমাত্রিক মুদ্রণ/মুদ্রণ পরবর্তী প্রক্রিয়াকরণ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১০৭
|-
|৪ || [[ত্রিমাত্রিক মুদ্রণ/স্লাইসিং সফটওয়্যার]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২০৫
|-
|৫ || [[ত্রিমাত্রিক মুদ্রণ/মডেলসমূহ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২০০
|-
|৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:বড়া খিচুড়ি]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩৩৭
|-
|৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:পানতোয়া]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৮৪
|-
|৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:শাহী দাল মাখনি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩০৭
|-
|৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিকেন ড্রামস্টিক]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩০২
|-
|১০ || [[রন্ধনপ্রণালী:জিরা পানি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৬৭
|-
|১১ || [[রন্ধনপ্রণালী:জিরা পানি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৬৭
|-
|১২ || [[রন্ধনপ্রণালী:বাদাম ভর্তা]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩০০
|-
|১৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:পনির পাকোড়া]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৭৭
|-
|১৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:পাঁপড়]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৬৬
|-
|১৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:ছিটা রুটি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩৫৬
|-
|১৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিকেন দম বিরিয়ানি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩৭৪
|-
|১৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:কর্নডগ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৭৩
|-
|১৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:আচারি চিকেন]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৪৩৬
|-
|১৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:পেস্তা হালুয়া]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২২৩
|-
|২০ || [[রন্ধনপ্রণালী:হান্ডি বিফ]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৭৬
|-
|২১ || [[রন্ধনপ্রণালী:মাঠা]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৭২
|-
|২২ || [[রন্ধনপ্রণালী:মাঠা]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৭২
|-
|২৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:ব্রাউনি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৩৬
|-
|২৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:ব্রাউনি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৩৬
|-
|২৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিকেন শাসলিক]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২২৮
|-
|২৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিকেন জালি কাবাব]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৩৫
|-
|২৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:জাফরানি শরবত]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৯৭
|-
|২৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:বাদাম শরবত]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২০২
|-
|২৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:হুমুস]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৮২
|-
|৩০ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিকেন নাচোস]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২১৯
|-
|৩১ || [[রন্ধনপ্রণালী:পটেটো ওয়েজেস]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৪৩
|-
|৩২ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিকেন টিক্কা কাবাব]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৪০
|-
|৩৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিকেন বটি কাবাব]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৫০
|-
|৩৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:অনিয়ন রিংস]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২২৪
|-
|৩৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:কুনাফা চকলেট]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৭৯
|-
|৩৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:টাকো]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৬৮
|-
|৩৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:কচুপাতা ভর্তা]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৭৩
|-
|৩৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:চাল কুমড়ার মোরব্বা]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৮৮
|-
|৩৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:আমের মোরব্বা]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৯৯
|-
|৪০ || [[রন্ধনপ্রণালী:পেলকা]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৬৭
|-
|৪১ || [[রন্ধনপ্রণালী:চ্যাপা শুটকি ভর্তা]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৩৮৮
|-
|৪২ || [[রন্ধনপ্রণালী:ডোনাট]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৫৩২
|-
|৪৩ || [[কানাডায় শরনার্থী প্রক্রিয়া/ শব্দকোষ]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৩০৩
|-
|৪৪ || [[উইকিশৈশব:চলো নাইকার গুহাতে স্ফটিকীকরণ নিয়ে কথা বলি]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৩৮৯
|-
|৪৫ || [[উইকিশৈশব:চলো নাইকার গুহাতে স্ফটিকীকরণ নিয়ে কথা বলি/১২ - তরবারির গুহায় স্ফটিক গঠন]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৬১
|-
|৪৬ || [[উইকিশৈশব:চলো নাইকার গুহাতে স্ফটিকীকরণ নিয়ে কথা বলি/১ - নাইকা মেক্সিকোতে অবস্থিত]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৪৬
|-
|৪৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:ধোকলা]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৭০
|-
|৪৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:তেলি হাঁস ভুনা]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২২৮
|-
|৪৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:মুড়ি সন্দেশ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৫৮
|-
|৫০ || [[রন্ধনপ্রণালী:খেজুরের ক্ষীর]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২২৭
|-
|৫১ || [[রন্ধনপ্রণালী:গরুর মাংসের ঝুরি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩২০
|-
|৫২ || [[রন্ধনপ্রণালী:মাছের দো পোয়া]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৬৫
|-
|৫৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:ফাফড়া]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৬৮
|-
|৫৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:মোচার ঘন্ট]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৬০
|-
|৫৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:ঘিয়ের মোয়া]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৫৪
|-
|৫৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:কাঁঠালের বিচির ঘন্ট]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২১২
|-
|৫৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:কাঁঠালের বিচির ঘন্ট]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২১২
|-
|৫৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:ক্ষীরশাপটা]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৩৬
|-
|৫৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:ক্ষীরশাপটা]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৩৬
|-
|৬০ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিংড়ি নারকেল ঝোল]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৪৭
|-
|৬১ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিংড়ি নারকেল ঝোল]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৪৭
|-
|৬২ || [[রন্ধনপ্রণালী:ধনেপাতার মুরগী]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৫৪
|-
|৬৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:ধনেপাতার মুরগী]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৫৪
|-
|৬৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:মেওয়া লাড্ডু]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২০৭
|-
|৬৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:আলুর বড়া]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৭৬
|-
|৬৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:ইলিশের খোসার ঝোল]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩০৬
|-
|৬৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:লাউ ভাজা]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২১১
|-
|৬৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:ডিমের টমেটো কারি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৫৫
|-
|৬৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিড়ার কাবাব]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২২৪
|-
|৭০ || [[রন্ধনপ্রণালী:চালতার আচার]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২২৪
|-
|৭১ || [[রন্ধনপ্রণালী:বুটের শিরনী]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৭৩
|-
|৭২ || [[রন্ধনপ্রণালী:লাউ খোয়া]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৬৩
|-
|৭৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:পুঁটিমাছ ভুনা]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৫৮
|-
|৭৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:মেজবানি মাংস]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৯১
|-
|৭৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:তান্দুরি রুটি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৭১
|-
|৭৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:বিফ চাপ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩১০
|-
|৭৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:ছানার দম পনির]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৯৭
|-
|৭৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:নবাবি কচুরি]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৩৫৫
|-
|৭৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিকেন দোপেয়াজা]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৩৬৩
|-
|৮০ || [[রন্ধনপ্রণালী:মালাই কোফতা]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৩৭৩
|-
|৮১ || [[রন্ধনপ্রণালী:পনির বাটার মসলা]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৩৬৩
|-
|৮২ || [[রন্ধনপ্রণালী:চুইঝাল চিংড়ি]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৩৩০
|-
|৮৩ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/অ্যাপ্লিকেশন ওয়েবসাইটসমূহ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৫২
|-
|৮৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:পটলের চপ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৯৬
|-
|৮৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:চালকুমড়ার বড়া]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৬৮
|-
|৮৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:চকলেট মিল্কশেক]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২২০
|-
|৮৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:শুটকি চচ্চড়ি]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৮৮
|-
|৮৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:শুটকি চচ্চড়ি]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৮৮
|-
|৮৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:সবজি পাকোড়া]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৭৯
|-
|৯০ || [[রন্ধনপ্রণালী:মুগডালের হালুয়া]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৯৪
|-
|৯১ || [[রন্ধনপ্রণালী:বাঁধাকপির ঘন্ট]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৬৯
|-
|৯২ || [[রন্ধনপ্রণালী:পোড়া বেগুন ভর্তা]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৬৬
|-
|৯৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিকেন নাগা কারি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩০০
|-
|৯৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:স্ট্রবেরি মিল্কশেক]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৭৯
|-
|৯৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:স্ট্রবেরি লাচ্ছি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৯৬
|-
|৯৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:ম্যাংগো মিল্কশেক]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৮৬
|-
|৯৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:তেঁতুলের চাটনি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২১০
|-
|৯৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:পুদিনা চাটনি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২২৪
|-
|৯৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:বাদাম পুলি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৭২
|-
|১০০ || [[রন্ধনপ্রণালী:সরষে পাবদা]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩১৯
|-
|১০১ || [[রন্ধনপ্রণালী:রসকদম্ব]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩২১
|-
|১০২ || [[রন্ধনপ্রণালী:কাঁচকলার কোপ্তা]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩১০
|-
|১০৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:সজনে ডাল]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২১৩
|-
|১০৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:ম্যাংগো লাচ্ছি]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২৪৯
|-
|১০৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিংড়ি ভর্তা]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২৪০
|-
|১০৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:সাগুর পায়েস]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২৬৩
|-
|১০৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:মুরগির পাকোড়া]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২৭৯
|-
|১০৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিকেন পপকর্ন]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৩০০
|-
|১০৯ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/লজিক্যাল অপারেটর]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৪৩৫
|-
|১১০ || [[রন্ধনপ্রণালী:মাংসের আচার]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৩৩৬
|-
|১১১ || [[রন্ধনপ্রণালী:রামেন]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২৭০
|-
|১১২ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিঁড়ের পায়েস]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৫২
|-
|১১৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:শিমের ডালনা]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২৭১
|-
|১১৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিকেন স্যুপ]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২৯০
|-
|১১৫ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/সাইজঅফ অপারেটর]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৩১১
|-
|১১৬ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/সফটওয়্যার টেস্টিং]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৫৭৯
|-
|১১৭ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/রিলেশনাল অপারেটর]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৯৭
|-
|১১৮ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/প্রোগ্রাম ডিজাইন]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৫৯৯
|-
|১১৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:বালাচাও]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ৩৩৫
|-
|১২০ || [[রন্ধনপ্রণালী:টমেটো খাট্টা]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২৮১
|-
|১২১ || [[রন্ধনপ্রণালী:মধুভাত]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২৮৯
|-
|১২২ || [[রন্ধনপ্রণালী:ফুলকপির ধোকা]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৩৩৬
|-
|১২৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:ছানার ডালনা]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২৯৬
|-
|১২৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:রেজালা]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ৩০৩
|-
|১২৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:মোঘলাই কোরমা]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৮৭
|-
|১২৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:পটলের কোপ্তা]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৪৪১
|-
|১২৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:কাঁচামিষ্টি আমদই]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২২০
|-
|১২৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:সাতকরা গরুর মাংস]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২২৯
|-
|১২৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:শাহী টুকরা]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ৩৪৫
|-
|১৩০ || [[রন্ধনপ্রণালী:শাহী দুধ সেমাই]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ৩১৫
|-
|১৩১ || [[রন্ধনপ্রণালী:চীজকেক]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৬০
|-
|১৩২ || [[রন্ধনপ্রণালী:আলু পনির]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৩৮
|-
|১৩৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:রাবড়ি]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৮৫
|-
|১৩৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:ছানার বরফি]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৭২
|-
|১৩৫ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/সুইফট অবজেক্ট উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ২৯৮
|-
|১৩৬ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/সুইফট পরিচিতি উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ২০২
|-
|১৩৭ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/জাভাস্ক্রিপ্ট পরিচিতি উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ৩৫২
|-
|১৩৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:ছোলে ভাটুরে]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৯৯
|-
|১৩৯ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/লেখকবৃন্দ]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ৩৬
|-
|১৪০ || [[রন্ধনপ্রণালী:খাসির চাপ]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৬৭
|-
|১৪১ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/প্রোগ্রামিং পরিচিতি]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ১৯২
|-
|১৪২ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/পাইথন পরিচিতি উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ২১৩
|-
|১৪৩ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/ডেটা ম্যানিপুলেশন]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ৫৭৭
|-
|১৪৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:প্যানকেক]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৪৫
|-
|১৪৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:সুজির টোস্ট]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৬৪
|-
|১৪৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:দই চাট]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২১৪
|-
|১৪৭ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/সূচীপত্র]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১০৩৫
|-
|১৪৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:আচারি বিফ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩৫১
|-
|১৪৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:দই কাতলা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩৫২
|-
|১৫০ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিড়ার সরবত]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩৩১
|-
|১৫১ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিড়ার সরবত]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩৩১
|-
|১৫২ || [[রন্ধনপ্রণালী:ঘুগনি]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩৭৪
|-
|১৫৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:ঘুগনি]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩৭৪
|-
|১৫৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:ঘোল]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩০৯
|-
|১৫৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিকেন শর্মা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৯২
|-
|১৫৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিকেন শর্মা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৯২
|-
|১৫৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:ফিশ কাটলেট]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৬৪
|-
|১৫৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:জর্দা সেমাই]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৭৩
|-
|১৫৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:গরুর পায়া]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৩৬৮
|-
|১৬০ || [[রন্ধনপ্রণালী:তিলের নাড়ু]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২৫৪
|-
|১৬১ || [[রন্ধনপ্রণালী:নারকেলের নাড়ু]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৪৬
|-
|১৬২ || [[রন্ধনপ্রণালী:মুরগির কোরমা]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২৯৩
|-
|১৬৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিকেন ললিপপ]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২৪১
|-
|১৬৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:কলিজা ভুনা]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২৬১
|-
|১৬৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:কলিজা সিঙ্গারা]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৩৩৮
|-
|১৬৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:মলিদা]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২১৮
|-
|১৬৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:আলু পরোটা]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২৫৭
|-
|১৬৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:ডিম পরোটা]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২৬৮
|-
|১৬৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:বাটার নান]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৩৩০
|-
|১৭০ || [[রন্ধনপ্রণালী:দুধ চিতই]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৩২১
|-
|১৭১ || [[রন্ধনপ্রণালী:দুধ পুলি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৩৫
|-
|১৭২ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিংড়ির ভর্তা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৬৫
|-
|১৭৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:মশলা চা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২১৬
|-
|১৭৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:আদা চা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৩৮
|-
|১৭৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:লেবু চা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৪৫
|-
|১৭৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:বেলপুরি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৪২২
|-
|১৭৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:ছানার পায়েস]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৪৫৫
|-
|১৭৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:ফ্রায়েড রাইস]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২১৬
|-
|১৭৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:বিফ স্টেক]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৯৫
|-
|১৮০ || [[রন্ধনপ্রণালী:ডিম টোস্ট]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১০৯
|-
|১৮১ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/অ্যাসাইনমেন্ট বনাম সমতা]] || [[বাবহারকারী:Maruf|Maruf]] || ৩৮৮
|-
|১৮২ || [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/বিষয়সমূহ]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ১৪৯
|-
|১৮৩ || [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/লেখক]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৮
|-
|১৮৪ || [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৯২
|-
|১৮৫ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/ডেটা এবং অপারেটর]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৫২
|-
|১৮৬ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/সি++ সংরক্ষিত কীওয়ার্ড]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২৪৪
|-
|১৮৭ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/বুলিয়ান ডেটা টাইপ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৩৩০
|-
|১৮৮ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/অ্যাসাইনমেন্ট]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২৬২
|-
|মোট পাতা:||১৮৮||মোট শব্দ:||৫২১৮৭
|}
== [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|১ || [[জাপানের ইতিহাস: পুরাণ থেকে জাতিসত্ত্বা]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৪৯২
|-
|২ || [[জাপানের ইতিহাস: পুরাণ থেকে জাতিসত্ত্বা/আসুকা যুগ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৮৩৮৩
|-
|৩ || [[সবকিছুর জন্যেই ইন্টারনেট?/নজরদারি ও প্রতিনজরদারি]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২০৫৬৫
|-
|৪ || [[সবকিছুর জন্যেই ইন্টারনেট?/ডিজিটাল যুগে ব্যক্তিগত ও জনপরিসর]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৮৯৫৫
|-
|৫ || [[সবকিছুর জন্যেই ইন্টারনেট?]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৪৬১
|-
|৬ || [[সবকিছুর জন্যেই ইন্টারনেট?/প্রযুক্তিগত ও সাংস্কৃতিক নির্ধারণবাদ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৩৭০৩
|-
|৭ || [[কানাডায় শরনার্থী প্রক্রিয়া/স্বাধীন সিদ্ধান্তগ্রহণকারীর অধিকার]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ৫২৫১
|-
|৮ || [[কানাডায় শরনার্থী প্রক্রিয়া/শরণার্থী প্রক্রিয়া ব্যাখ্যার নীতিমালা]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ১৭৩৪৩
|-
|৯ || [[কানাডায় শরনার্থী প্রক্রিয়া/বোর্ডের অনুসন্ধানমূলক দায়িত্ব]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ৬৮৮৬
|-
|১০ || [[কানাডায় শরনার্থী প্রক্রিয়া/পক্ষপাতহীন সিদ্ধান্তগ্রহণকারীর অধিকার]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ৫২৬৯
|-
|১১ || [[কানাডায় শরনার্থী প্রক্রিয়া/ন্যায্য শুনানির অধিকার]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২১৪৮৪
|-
|১২ || [[কানাডায় শরনার্থী প্রক্রিয়া/কানাডায় শরণার্থী প্রক্রিয়ার ইতিহাস]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২০৮৮৪
|-
|১৩ || [[কানাডায় শরনার্থী প্রক্রিয়া]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৮৯২
|-
|মোট পাতা:||১৩||মোট শব্দ:||১৭১৫৬৮
|}
== [[বাবহারকারী:Asikur.rahman25|Asikur.rahman25]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|১ || [[রাজনৈতিক যোগাযোগের উপাদান/প্রচলিত মিডিয়া নির্দেশিকা/মতামত কলাম ও সম্পাদককে চিঠি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৮১৩
|-
|২ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/কক্ষে তড়িৎ-শব্দীয় স্থাপনাসমূহ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৯০২
|-
|৩ || [[জাপানের ইতিহাস: পুরাণ থেকে জাতিসত্ত্বা/আজুচি–মোমোয়ামা যুগ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৬০৫
|-
|৪ || [[জাপানের ইতিহাস: পুরাণ থেকে জাতিসত্ত্বা/মুরোমাচি যুগ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৫৪৭
|-
|৫ || [[জাপানের ইতিহাস: পুরাণ থেকে জাতিসত্ত্বা/কামাকুরা যুগ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৭০০
|-
|৬ || [[জাপানের ইতিহাস: পুরাণ থেকে জাতিসত্ত্বা/জোমন যুগ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১২৭৮
|-
|৭ || [[জাপানের ইতিহাস: পুরাণ থেকে জাতিসত্ত্বা/সংঘর্ষকালীন রাজ্য যুগ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২০৮৯
|-
|৮ || [[জাপানের ইতিহাস: পুরাণ থেকে জাতিসত্ত্বা/সংঘর্ষকালীন রাজ্য যুগ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২০৮৯
|-
|৯ || [[জাপানের ইতিহাস: পুরাণ থেকে জাতিসত্ত্বা/জাপানে মার্কিন দখল]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩১৮৪
|-
|১০ || [[জাপানের ইতিহাস: পুরাণ থেকে জাতিসত্ত্বা/বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী জাপান]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২১৬৪
|-
|১১ || [[জাপানের ইতিহাস: পুরাণ থেকে জাতিসত্ত্বা/তাইশো যুগ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৩৭৬
|-
|১২ || [[সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/লিঙ্গ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৩২৫৯
|-
|১৩ || [[সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/সমাজ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২৯২২
|-
|১৪ || [[মানব শারীরতত্ত্ব/জিনতত্ত্ব ও বংশগতি]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৬১৮০
|-
|১৫ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/প্রজনন তন্ত্র]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৪৫৪৫
|-
|১৬ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/অন্তঃক্ষরা তন্ত্র]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৫৪৪৯
|-
|১৭ || [[জাপানের ইতিহাস: পুরাণ থেকে জাতিসত্ত্বা/গ্রন্থপঞ্জি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২০৬৭
|-
|১৮ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/পৌষ্টিকনালী ও পরিপাক]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৩৮৩৫
|-
|১৯ || [[সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/জনসংখ্যাতত্ত্ব]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩৩৮০
|-
|২০ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/স্নায়ুতন্ত্র]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২৮২৫
|-
|২১ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/জ্ঞানেন্দ্রিয়সমূহ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৩২১৭
|-
|২২ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/দৃষ্টি সংকেত প্রক্রিয়াকরণ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৫৭৬৯
|-
|২৩ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/মানব স্বররজ্জু/উৎস-ফিল্টার তত্ত্ব]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৪৪৮
|-
|২৪ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/ভারসাম্যতন্ত্রের সংকেত প্রক্রিয়াকরণ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৪৪৪
|-
|২৫ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/ইরান]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩০০১
|-
|২৬ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/ উদ্দীপনাময় বিংশ শতাব্দী এবং নিষেধাজ্ঞা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৫৪১৭
|-
|২৭ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/ট্রুম্যান এবং স্নায়ু যুদ্ধ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৬০৬
|-
|২৮ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/রাজনৈতিক দর্শন কী?]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৯৪৮
|-
|২৯ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/অতিভৌতিকতা কী?]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১০৯৫
|-
|৩০ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/সুবিধাবাদ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৮৬৬
|-
|৩১ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/ব্যক্তি কী?]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ২৪৬৩
|-
|৩২ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/বিস্ফোরণ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৭০১
|-
|৩৩ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের শব্দবিজ্ঞানগত চ্যালেঞ্জ]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ১২১৬
|-
|৩৪ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/পতঙ্গ/দিকনির্ণয়]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৫৮১
|-
|৩৫ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/বর্ণ প্রত্যক্ষণ]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ২১৪৪
|-
|৩৬ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/মাকড়সা]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৩৯৩২
|-
|৩৭ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/প্রতিবেদন/পরিকল্পনা]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ১২৩৫
|-
|৩৮ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/জৈবচিকিৎসীয় আলট্রাসাউন্ড]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ১৮৩৬
|-
|৩৯ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/অক্টোপাস]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৬৯৭
|-
|৪০ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/মূত্রতন্ত্র]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৩০৪৭
|-
|৪১ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/ত্বক]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২৬১২
|-
|৪২ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/শ্বসনতন্ত্র]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ২১২১
|-
|৪৩ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/কোষ]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৩২৩১
|-
|৪৪ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/ফ্লোচার্ট]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৮৮৪
|-
|৪৫ || [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/তাপগতিবিদ্যা]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ৭৮০
|-
|৪৬ || [[তত্ত্ব শিখন/প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষণ: অনুশীলন]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৯০৬
|-
|৪৭ || [[সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/পরিবার]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৫৫২৫
|-
|৪৮ || [[সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/দৈনন্দিন জীবন/প্রযুক্তি/টেলিভিশন]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৫৬৪
|-
|৪৯ || [[সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/দৈনন্দিন জীবন/প্রযুক্তি/টেলিভিশন]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৫৬৪
|-
|৫০ || [[সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/শিক্ষা]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২৩৯৬
|-
|৫১ || [[রন্ধনপ্রণালী:নানরুটি]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৪৪
|-
|৫২ || [[রন্ধনপ্রণালী:ছোলার ডাল]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ১৭৭
|-
|৫৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:বাকরখানি]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৭০
|-
|৫৪ || [[অতীন্দ্রিয়বাদ/বিশ্বাস ও মস্তিষ্ক নিয়ে গবেষণা]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ১৭৭০
|-
|মোট পাতা:||৫৪||মোট শব্দ:||১২৪৯১৬
|}
== [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|১ || [[মানব শারীরতত্ত্ব/অন্তঃক্ষরা গ্রন্থিতন্ত্র]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ৭০৩৭
|-
|২ || [[জাপানের ইতিহাস: পুরাণ থেকে জাতিসত্ত্বা/মধ্য হেইয়ান যুগ]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ৯৫৬৫
|-
|৩ || [[জাপানের ইতিহাস: পুরাণ থেকে জাতিসত্ত্বা/ইয়াইয়োই যুগ]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ১০৭৪০
|-
|৪ || [[জাপানের ইতিহাস: পুরাণ থেকে জাতিসত্ত্বা/আধুনিক জাপান]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৪০৮৪
|-
|৫ || [[চিন্তন ও নির্দেশনা/সহযোগিতামূলক এবং অনুসন্ধানভিত্তিক শিখন]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৩৯৯৩
|-
|৬ || [[চিন্তন ও নির্দেশনা/শেখার জন্য প্রযুক্তি ও নকশা]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ৭৪৫৫
|-
|৭ || [[চিন্তন ও নির্দেশনা/শিখন ও স্মৃতি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৯৩৪৩
|-
|৮ || [[চিন্তন ও নির্দেশনা/মেটাকগনিশন ও স্ব-নিয়ন্ত্রিত শেখা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৫৯৪৫
|-
|৯ || [[চিন্তন ও নির্দেশনা/পড়তে শেখা]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ৭৩৩৫
|-
|১০ || [[চিন্তন ও নির্দেশনা/দীর্ঘমেয়াদী স্মৃতি]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ৫১০১
|-
|১১ || [[চিন্তন ও নির্দেশনা/গণিত শেখা]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৮৩৩৫
|-
|১২ || [[মানব শারীরতত্ত্ব/রেচনতন্ত্র]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ৫৭৫৩
|-
|১৩ || [[চিন্তন ও নির্দেশনা/এনকোডিং ও পুনরুদ্ধার]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২২৬২
|-
|১৪ || [[মানব শারীরতত্ত্ব/গর্ভধারণ ও সন্তান প্রসব]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ৮২৭২
|-
|১৫ || [[চিন্তন ও নির্দেশনা/সাংবদ্ধ মনোবিজ্ঞানের উৎপত্তি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৬৯৬৪
|-
|মোট পাতা:||১৫||মোট শব্দ:||১১২১৮৪
|}
== [[বাবহারকারী:Anisvai|Anisvai]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|১ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/কর্তব্যবাদ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৩৫
|-
|২ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/প্রয়োগবাদ]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২৪৭
|-
|৩ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/উৎস নথিভুক্তকরণ/তথ্যসূত্র]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৬৭
|-
|৪ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/পরিণামবাদ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩৫৪
|-
|৫ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/চেতনা বিষয়ক দর্শন]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩৯১
|-
|৬ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/সামাজিক চুক্তি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৫৭
|-
|৭ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/যুক্তিবিদ্যা/জটিল সূত্র নির্মাণ]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ১০৮
|-
|৮ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/অভিজ্ঞতাবাদ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১০১
|-
|৯ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/প্রাচীন রাজনৈতিক দর্শন]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৩৪
|-
|১০ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/সৌন্দর্যবোধ]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ১৬৭
|-
|মোট পাতা:||১০||মোট শব্দ:||২০৬১
|}
== [[বাবহারকারী:SMontaha32|SMontaha32]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|১ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/কম্পিউটার মডেল/ভারসাম্যতন্ত্র সিমুলেশন]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১০৭৩
|-
|২ || [[চিন্তন ও নির্দেশনা/বিজ্ঞান শিখন ও ধারণাগত পরিবর্তন]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৪৭৪২
|-
|৩ || [[জাপানের ইতিহাস: পুরাণ থেকে জাতিসত্ত্বা/জাপানে বৌদ্ধধর্ম]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৭০৫১
|-
|৪ || [[জাপানের ইতিহাস: পুরাণ থেকে জাতিসত্ত্বা/প্রারম্ভিক হেইয়ান যুগ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৯২০৭
|-
|৫ || [[জাপানের ইতিহাস: পুরাণ থেকে জাতিসত্ত্বা/কোফুন যুগ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১১৬০৫
|-
|৬ || [[জাপানের ইতিহাস: পুরাণ থেকে জাতিসত্ত্বা/অবসানকালীন হেইয়ান যুগ]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৬৭৫
|-
|৭ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/মানব স্বররজ্জু]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৯০৬
|-
|৮ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/দৃষ্টিতন্ত্র]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১১২১৬
|-
|৯ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/ওবামা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২২২১
|-
|১০ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/ডব্লিউ. বুশ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩৪৯২
|-
|১১ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/নির্দেশাবলি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৬৪২
|-
|১২ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/নকশা/শেষাংশ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১০২৯
|-
|১৩ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/নকশা]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১০০৫
|-
|১৪ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/ধর্মতত্ত্ব]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৯৪৯
|-
|১৫ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/যুক্তিবিদ্যা/বাক্যযুক্তির আরও আনুষ্ঠানিক দৃষ্টিভঙ্গি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৯০৫
|-
|১৬ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/ব্যবসায়িক যোগাযোগ/চিঠি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৭৬৯
|-
|১৭ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/ব্যবসায়িক যোগাযোগ/ওয়েবসাইট]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৯৮০
|-
|১৮ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/প্রকল্প ব্যবস্থাপনা/দলসমূহ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৬২১
|-
|১৯ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/অলঙ্করণ/অনুমান]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৮২২
|-
|২০ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/ব্যবসায়িক যোগাযোগ/মেমো]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১২৭১
|-
|২১ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/প্রস্তাবনা]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৭৭৯
|-
|২২ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/সম্ভাব্যতা]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৭৬৭
|-
|২৩ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/উপস্থাপনা]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩৪১৯
|-
|২৪ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/নৈতিকতা/সংস্কৃতি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৩০৪
|-
|২৫ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/নকশা/ব্যবহারযোগ্যতা]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ১৩০৯
|-
|২৬ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/পেশা/জীবনবৃত্তান্ত]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ২৫৩১
|-
|২৭ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/পেশা/কাভার লেটার]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২১৭২
|-
|২৮ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/পেশা]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৭৯৮
|-
|২৯ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/প্রকল্প ব্যবস্থাপনা]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ৭৬৭
|-
|৩০ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/পেশাদার লেখনী সম্বন্ধে]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ৫২৯
|-
|৩১ || [[সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/সাধারণ সমাজতাত্ত্বিক তত্ত্ব]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৫১
|-
|৩২ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/বাদুড় ও ডলফিনের ইকোলোকেশন]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৫৭৭
|-
|৩৩ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/চলন্ত কয়েল লাউডস্পিকার]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৫৯৮
|-
|৩৪ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/আলট্রাসনিক মাধ্যমের জন্য নতুন শব্দ ফিল্টার]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৪৮১
|-
|৩৫ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/ডিজিটাল নিয়ন্ত্রণের ভূমিকা]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৩৭০
|-
|৩৬ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/পোল ও জিরো]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৭০২
|-
|৩৭ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/স্টেট-স্পেস স্থিতিশীলতা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৮১৬
|-
|৩৮ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/সিস্টেম শনাক্তকরণ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১০৮১
|-
|৩৯ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/সিস্টেম মেট্রিক্স]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৫৩৪
|-
|৪০ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/স্টেট-স্পেস সমীকরণ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৪৫৬
|-
|৪১ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/পিজোইলেকট্রিক ট্রান্সডিউসার]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৬৫৯
|-
|৪২ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/স্ব-সমন্বয়ী হেলমহোল্টজ অনুরণকের সাহায্যে কোলাহল নিয়ন্ত্রণ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১১৬৫
|-
|৪৩ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/কম্পিউটার মডেল/শ্রবণতন্ত্র সিমুলেশন]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৩৪৯৩
|-
|৪৪ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/সময় ভেদে পরিবর্তনশীল সিস্টেম সমাধান]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৮৩৮
|-
|৪৫ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/রাষ্ট্রপতিরা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২১৬১
|-
|৪৬ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/ভারসাম্যতন্ত্রের অঙ্গসংস্থান]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৭৪২
|-
|৪৭ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/অন্যান্য প্রাণী]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩০৪৬
|-
|৪৮ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/বিপ্লবের পথে]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৪৪৭৬
|-
|৪৯ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/আইজেনহাওয়ার নাগরিক অধিকার পঞ্চাশের দশক]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৩৯৩৪
|-
|৫০ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/স্নায়ুসংবেদী ইমপ্লান্ট]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৫১৫৫
|-
|৫১ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/প্রাক-কলম্বীয়]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৪১৯
|-
|৫২ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/আবিষ্কারের যুগ ও গিল্ডেড যুগ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩২৫৯
|-
|৫৩ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/স্প্যানিশ গৃহযুদ্ধ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৪৪০
|-
|৫৪ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/সংবিধানের প্রাথমিক বছরগুলি]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৭৭৯
|-
|৫৫ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/পুনর্গঠন]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৩৯০৩
|-
|৫৬ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/ইংরেজ উপনিবেশ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩৬৫২
|-
|৫৭ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/সামুদ্রিক প্রাণী]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৮৪২
|-
|৫৮ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/ভারসাম্যতন্ত্র]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১২৫৩
|-
|৫৯ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/স্নায়ুসংবেদী ইমপ্লান্ট/ভবিষ্যতের দিকনির্দেশনা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৪২৮
|-
|৬০ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/কম্পিউটার মডেল/স্নায়বিক সিমুলেশন]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৪৪৬২
|-
|৬১ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/বোডি চিত্র]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ১০৪০
|-
|৬২ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/ফিল্টার ডিজাইন ও বাস্তবায়ন]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৯২৭
|-
|৬৩ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/পতঙ্গ/হ্যালটেরেস]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৫৯৮
|-
|৬৪ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/বহুসংবেদী একত্রীকরণ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৬৯১
|-
|৬৫ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/পাখি/চৌম্বক উপলব্ধি]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩৫৭৯
|-
|৬৬ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/কম্পিউটার মডেল/ঘ্রাণতন্ত্র সিমুলেশন]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৪৭২
|-
|৬৭ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/দৃষ্টিতন্ত্র/দৃষ্টিতন্ত্রের আন্তঃপ্রজাতি তুলনা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৪২৭
|-
|৬৮ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/হাঙ্গর]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২০৭৪
|-
|৬৯ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/অ-প্রাইমেট পাখির গান]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৭৯৯
|-
|৭০ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/স্নায়ুসংবেদী ইমপ্লান্ট/কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৪৩১
|-
|৭১ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/কম্পিউটার মডেল/বাক্ প্রত্যক্ষণ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৮৩২
|-
|৭২ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/ব্যথার শারীরবিদ্যা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৯৩৩
|-
|৭৩ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/দেহসংবেদী তন্ত্রে স্পর্শলোম]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৫৩০
|-
|৭৪ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/অন্যান্য প্রাণী/ইকোলোকেশনকারী দাঁতযুক্ত তিমি]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৭০৫
|-
|৭৫ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/দৃষ্টিতন্ত্র/ইন ভিভো ইমেজিং]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৯৮০
|-
|৭৬ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/দৃষ্টিতন্ত্র/পুরাতন/সংবেদী অঙ্গের উপাদান]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৮৬৪
|-
|৭৭ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/স্নায়ুসংবেদী ইমপ্লান্ট/ভবিষ্যতের দিকনির্দেশনা/অপটোজেনেটিক্স]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৯১৫
|-
|৭৮ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/স্নায়ুসংবেদী ইমপ্লান্ট/ভেস্টিবুলার ইমপ্লান্ট]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৫৪৭
|-
|৭৯ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/স্নায়ুসংবেদী ইমপ্লান্ট/ভেস্টিবুলার ইমপ্লান্ট]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৫৪৭
|-
|৮০ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/স্নায়ুসংবেদী ইমপ্লান্ট/রেটিনাল ইমপ্লান্ট]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৩৯৭০
|-
|৮১ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/লসিকা তন্ত্র]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৮৩৩
|-
|৮২ || [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/লম্ব বল ও ঘর্ষণ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৭৫৪
|-
|৮৩ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/শব্দকোষ/গ-ঘ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৮১
|-
|৮৪ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/শব্দকোষ/থ-ধ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৯৮
|-
|৮৫ || [[সাধারণ বলবিজ্ঞান/নিয়ন্ত্রিত গতি]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৬০৮
|-
|৮৬ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/শব্দকোষ/ক-খ]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৮১
|-
|৮৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:মাছের টিক্কি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৩০
|-
|৮৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:রস পিঠা]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২২৩
|-
|৮৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:কুমড়ো ঘন্ট]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২১২
|-
|৯০ || [[রন্ধনপ্রণালী:আমের টক]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৫৬
|-
|৯১ || [[রন্ধনপ্রণালী:মিষ্টি পুলি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৮৩
|-
|৯২ || [[রন্ধনপ্রণালী:গোমাংস ভুনা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২০৩
|-
|৯৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:সবজি নুডলস]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২১০
|-
|৯৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:মাংসের চচ্চড়ি]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২১১
|-
|৯৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:বিফ স্যুপ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৯৫
|-
|৯৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:লাল সেমাই]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৯৮
|-
|৯৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:কোরমা খিচুড়ি]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৭৭
|-
|৯৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:পাবদা মাছের ঝোল]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২০৭
|-
|৯৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:গরুর রেজালা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৯৪
|-
|১০০ || [[রন্ধনপ্রণালী:মুরগির কাটলেট]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৬৭
|-
|১০১ || [[রন্ধনপ্রণালী:চাপাটি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৯১
|-
|১০২ || [[রন্ধনপ্রণালী:বিফ কালিয়া]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৬৩
|-
|১০৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:মুরগি ভুনা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৩৪
|-
|১০৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিকেন কারি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৫৩
|-
|১০৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:নান রুটি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৬৮
|-
|১০৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:বুটের বড়া]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৪৪
|-
|১০৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:মুগডালের বড়া]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৩৬
|-
|১০৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:মুরগির কোপ্তা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩১৯
|-
|১০৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:শসা ভর্তা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৮২
|-
|১১০ || [[রন্ধনপ্রণালী:মটর ডাল]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২১৮
|-
|মোট পাতা:||১১০||মোট শব্দ:||১৮০১১৮
|}
== [[বাবহারকারী:RDasgupta2020|RDasgupta2020]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|১ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/MIMO সিস্টেম]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১০৫০
|-
|২ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/ম্যাট্রিক্স অপারেশন]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১২৩৫
|-
|৩ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/ওপেন সোর্স টুল/সাইল্যাব]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৭০৮
|-
|৪ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/বাস্তবায়ন]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৪৮৭
|-
|৫ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/সিস্টেম বিলম্ব]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৯৩৪
|-
|৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:চাল পটল]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৪৪
|-
|৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:সর্ষে ফুলের বড়া]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৮১
|-
|৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:দুধ মুগ পটল]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৪২
|-
|৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:গন্ধরাজ পটল]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২০৭
|-
|১০ || [[রন্ধনপ্রণালী:হিং-এর কচুরি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৬৫
|-
|১১ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিংড়ি মাছের বিরিয়ানি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৩৭
|-
|১২ || [[রন্ধনপ্রণালী:পমফ্রেট সর্ষে পোস্ত]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৫৫
|-
|১৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:কুমড়োর বড়া]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২০২
|-
|১৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:বকফুলের বড়া]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৩৯
|-
|১৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিচিঙ্গা ভর্তা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৩১
|-
|১৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিংড়ির পুরভরা বেগুনভাজা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৪৭
|-
|১৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:রুই মাছ ভুনা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৭২
|-
|১৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:মোচার পুর দিয়ে পাটিসাপটা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৪১২
|-
|১৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:মালাই পাবদা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৩৪
|-
|২০ || [[রন্ধনপ্রণালী:গন্ধরাজ ঘোল পোলাও]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৪১৪
|-
|২১ || [[রন্ধনপ্রণালী:গন্ধরাজ ভাপা মাছ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৪১৪
|-
|২২ || [[রন্ধনপ্রণালী:কাঁচা আমের চিলি চিকেন]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৪৯
|-
|২৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:তিল পটল]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৫৬
|-
|২৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:পোস্ত দিয়ে পাঁঠার মাংস]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৯৮
|-
|২৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:ডিম বেগুনের ভর্তা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৯০
|-
|২৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:মুলো ছেঁচকি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৫৮
|-
|২৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:লাউ ছেঁচকি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৭২
|-
|২৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:লেবুর কাজি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২১৭
|-
|২৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:ডাবের জল আর শাঁস দিয়ে পুডিং]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৪২
|-
|৩০ || [[রন্ধনপ্রণালী:কাঁচা আম দিয়ে পনির ভাপা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৫১
|-
|৩১ || [[রন্ধনপ্রণালী:তেঁতুলের শরবত]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৭০
|-
|৩২ || [[রন্ধনপ্রণালী:বেলের পানার শরবত]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৬৬
|-
|৩৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:পুর ভরা ঝিঙে]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৭৪
|-
|৩৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:পোস্তর বাটিচচ্চড়ি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৫৮
|-
|৩৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:ইলিশের একচড়া]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩১৭
|-
|৩৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:মুলোর ঘণ্ট]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৩৫
|-
|৩৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:কমলালেবু দিয়ে কই মাছ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৪০২
|-
|৩৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:সজনে ডাঁটার পোড়া ভর্তা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৭৮
|-
|৩৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:ছানার চচ্চড়ি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৫৬
|-
|৪০ || [[রন্ধনপ্রণালী:ডিম সর্ষে]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২০৬
|-
|৪১ || [[রন্ধনপ্রণালী:দুধ লাউ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৩০
|-
|৪২ || [[রন্ধনপ্রণালী:কুমড়োর ছেঁচকি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৫৮
|-
|৪৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:এঁচোড়ের বিরিয়ানি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৪৫৭
|-
|৪৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:কুমড়ো ভাপা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২০৩
|-
|৪৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:কুদরির তরকারি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২১৬
|-
|৪৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:বোয়াল মাছের কষা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩২০
|-
|৪৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:শিং মাছ ভুনা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২০৭
|-
|৪৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:বোয়াল মাছের তেল ঝাল]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩১১
|-
|৪৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:ঢেঁড়স আলুর তরকারি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৭৪
|-
|৫০ || [[রন্ধনপ্রণালী:চন্দ্রপুলি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৮৫
|-
|৫১ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/সিস্টেম উপস্থাপন]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৬৩
|-
|৫২ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/সিস্টেম মডেলিং]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১২৩৯
|-
|৫৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:মোহন ভোগ মিষ্টি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৪৭৫
|-
|৫৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:বৈকুন্ঠ ভোগ মিষ্টি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৫০
|-
|৫৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:দিলখুশ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৩৮
|-
|৫৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:আমসত্ত্ব সন্দেশ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২০৩
|-
|৫৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:পাকা আমের কালাকান্দ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩১৯
|-
|৫৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:ইলিশ পেটি সন্দেশ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩০৭
|-
|৫৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:মতিচুরের পায়েস]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২০৯
|-
|৬০ || [[রন্ধনপ্রণালী:মনোহরা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩০৫
|-
|৬১ || [[রন্ধনপ্রণালী:মেচা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৪৭
|-
|৬২ || [[রন্ধনপ্রণালী:কলার থোড়ের ঘন্ট]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৬৫
|-
|৬৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:হালিম]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৪৭৬
|-
|৬৪ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/আধুনিক নিয়ন্ত্রণ]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ১১৩
|-
|৬৫ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/টারবাইন ব্লেডের শব্দ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৯৮৬
|-
|৬৬ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/বেসেল ফাংশন ও কেটলড্রাম]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১১৫৫
|-
|৬৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:কলার থোড়ের চচ্চড়ি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৯৬
|-
|৬৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:ল্যাটা মাছের বাটি পোড়া]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৬৩
|-
|৬৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:ল্যাটা মাছের ঝাল]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৯৬
|-
|৭০ || [[রন্ধনপ্রণালী:মোচার পাতুরি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩২১
|-
|৭১ || [[রন্ধনপ্রণালী:শিউলি পাতার বড়া]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩০৬
|-
|৭২ || [[রন্ধনপ্রণালী:মোচার চপ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৭০
|-
|৭৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:ডুমুরের তরকারি]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৬২
|-
|৭৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:ঝিঙে বাটা]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৫৮
|-
|৭৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:মাছের ডিম ভাপা]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৭০
|-
|৭৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:কুমড়োর ছক্কা]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৬৪
|-
|৭৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:ঝিঙে জলবড়া]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৫৮
|-
|৭৮ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/রৈখিক সিস্টেম সমাধান]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৩৭৩
|-
|৭৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:বাসন্তী পোলাও]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৬৮
|-
|৮০ || [[রন্ধনপ্রণালী:কাতলা মাছের রেজালা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৪০৫
|-
|৮১ || [[রন্ধনপ্রণালী:শিম চিংড়ি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৩১
|-
|৮২ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/শৈলীর নির্দেশিকা]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৩৬৯
|-
|৮৩ || [[রাজনৈতিক যোগাযোগের উপাদান/সাধারণ নির্দেশিকা/শব্দ]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ১৩১
|-
|৮৪ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/বলকৃত দোলন (সাধারণ স্প্রিং-ভর সিস্টেম)]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ২৯৩
|-
|৮৫ || [[রাজনৈতিক যোগাযোগের উপাদান/সাধারণ নির্দেশিকা/গুরুত্ব]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ১৪২
|-
|৮৬ || [[রাজনৈতিক যোগাযোগের উপাদান/সাধারণ নির্দেশিকা/বিন্যাস]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ২২১
|-
|৮৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:ঝিঙে আলু পোস্ত]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৮৬
|-
|৮৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:দইয়ের মালপোয়া]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৯৭
|-
|৮৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:মানকচুর জিলিপি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৪১
|-
|৯০ || [[রন্ধনপ্রণালী:মিষ্টি কুমড়ার পায়েস]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৮৯
|-
|৯১ || [[রন্ধনপ্রনালী:শিমের ঝাল]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৪০
|-
|৯২ || [[রন্ধনপ্রনালী:শিম পোস্ত]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৯৬
|-
|৯৩ || [[রন্ধনপ্রনালী:শিমের ঝোল]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৮৪
|-
|৯৪ || [[রন্ধনপ্রনালী:শিম বেগুনের তরকারি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩১৩
|-
|৯৫ || [[রাজনৈতিক যোগাযোগের উপাদান/ডিজিটাল মিডিয়া নির্দেশিকা/ওয়েবসাইট]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৫২২
|-
|৯৬ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/সমাধান পদ্ধতি: তড়িৎ-যান্ত্রিক সাদৃশ্য]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৪০৮
|-
|৯৭ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/সমতল তরঙ্গের প্রতিফলন ও সঞ্চালন]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৭০৬
|-
|৯৮ || [[রাজনৈতিক যোগাযোগের উপাদান/সাধারণ নির্দেশিকা/সংক্ষিপ্ততা]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ১৩৩
|-
|৯৯ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/অবমন্দিত যান্ত্রিক সিস্টেমের বৈশিষ্ট্যনির্ণয়]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৫৯৭
|-
|১০০ || [[উইকিশৈশব:কণা/পদার্থের তিন দশা]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৮৮
|-
|১০১ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/সমতলীয় তরঙ্গের প্রতিফলন ও সঞ্চালন]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৭৩৩
|-
|১০২ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/তড়িৎ-যান্ত্রিক সাদৃশ্যের সমাধান পদ্ধতি]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৪৪১
|-
|১০৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:ছানার পাতুরি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩৪৯
|-
|১০৪ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/তড়িৎ-যান্ত্রিক সাদৃশ্য]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৯৬৭
|-
|১০৫ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/ফিল্টার ডিজাইনের প্রস্তাবনা]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২১০
|-
|১০৬ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/সীমান্ত শর্তাবলী ও বলকৃত কম্পন]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৯৫৯
|-
|১০৭ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/চলন্ত অনুরণক]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ১৫৯
|-
|১০৮ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/অরৈখিকতার শব্দীয় পরামিতি]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ১০৪৫
|-
|১০৯ || [[উইকিশৈশব:কণা/কণার মডেল]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৩৯৬
|-
|১১০ || [[উইকিশৈশব:কণা/গ্যাসের চাপ]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৬৭৫
|-
|১১১ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/সীমান্ত শর্তাবলী ও তরঙ্গের বৈশিষ্ট্য]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৭৭৫
|-
|১১২ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিংড়ি মুসুড়ি ভর্তা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩২০
|-
|১১৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:গোলবাড়ির মাংস]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৪৫৯
|-
|১১৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:মাটনের কবিরাজি কাটলেট]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৪২৩
|-
|১১৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:ভেটকি মাছের কবিরাজি কাটলেট]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩৫০
|-
|১১৬ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/ফাইল এক্সটেনশন দেখানো/লুকানো]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৩৪৪
|-
|১১৭ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/সুইফট ভেরিয়েবল উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২৪২
|-
|১১৮ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/সি-শার্প ভেরিয়েবল উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২৮০
|-
|১১৯ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/পর্যালোচনা: ফাউন্ডেশন টপিকস গ্রুপ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৪৬
|-
|১২০ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিংড়ি কাবাব]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৮৩
|-
|১২১ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/অনুশীলন: অবজেক্ট-ওরিয়েন্টেড প্রোগ্রামিং]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৪২৪
|-
|১২২ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/অবজেক্ট-ওরিয়েন্টেড প্রোগ্রামিং]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৬১
|-
|১২৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:তেঁতুলে চিংড়ি]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩৩৯
|-
|১২৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:ভেটকি রোস্ট]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩৭৮
|-
|১২৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:তেল কই]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৮৯
|-
|১২৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:বোরোলি মাছের পাতুরি]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৬৯
|-
|১২৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:শসা চিংড়ির কারি]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৫৭
|-
|১২৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:বোরোলি মাছের তেল-ঝাল]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৮৯
|-
|১২৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:কই মাছের হরগৌরী]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩৫৫
|-
|১৩০ || [[রন্ধনপ্রনালী:টঙ্কা তোরানি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৭৮
|-
|১৩১ || [[রন্ধনপ্রনালী:কাঁচা আম দিয়ে পটলের চচ্চড়ি]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৫৭
|-
|১৩২ || [[রন্ধনপ্রনালী:ভেটকি মাছের চারমৌলি]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৬১
|-
|১৩৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিংড়ি পোস্তো]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৬৪
|-
|১৩৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:গলদা চিংড়ি রসা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৯২
|-
|১৩৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিতল মাছের তেল ঝাল]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৬১
|-
|১৩৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিতল মাছের কালিয়া]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩৩৯
|-
|১৩৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিতল মাছের রসা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৮২
|-
|১৩৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:তন্দুরি চিংড়ি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩৬০
|-
|১৩৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:এঁচড় চিংড়ি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৯৪
|-
|১৪০ || [[রন্ধনপ্রণালী:ইলিশ কাবাব]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩১৩
|-
|১৪১ || [[রন্ধনপ্রণালী:ইলিশ মাছের মালাইকারি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৩৫
|-
|১৪২ || [[রন্ধনপ্রনালী:আমের ফিরনি]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৬৯
|-
|১৪৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিংড়ি কচু]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ৩০০
|-
|১৪৪ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/সিলেকশন কন্ট্রোল স্ট্রাকচার]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৪৭৩
|-
|১৪৫ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/পর্যালোচনা: উন্নত বিষয় গ্রুপ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৪৫
|-
|১৪৬ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/গুরুত্বপূর্ণ প্রাথমিক চলকসমূহ]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৭৩৯
|-
|১৪৭ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/ইউনারি অপারেশন]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৬৯২
|-
|১৪৮ || [[রন্ধনপ্রনালী:খস খস শরবত]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৪০
|-
|১৪৯ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/প্যারামিটার এবং আর্গুমেন্ট]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৭৫৪
|-
|১৫০ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/পর্যালোচনা: মডুলার প্রোগ্রামিং গ্রুপ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৪৬
|-
|১৫১ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/পর্যালোচনা: স্ট্রাকচার্ড প্রোগ্রামিং গ্রুপ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৬৮
|-
|১৫২ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিতল মাছের মুইঠ্যা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৩৩
|-
|১৫৩ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/ফিল্টার ডিজাইনের রূপরেখা]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৯১
|-
|১৫৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:ভেটকি বেগম বাহার]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩২১
|-
|১৫৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:ফুলকপি সর্ষে]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৩৭
|-
|১৫৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:বোরোলি মাছের চচ্চড়ি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৩১
|-
|১৫৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:বোরোলি মাছের ঝোল]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩১৫
|-
|১৫৮ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/অনুশীলন: স্ট্রিং এবং ফাইল]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ১৪৮৫
|-
|১৫৯ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/অ্যারে অনুসন্ধান]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৫২৫
|-
|১৬০ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিংড়ি কাসুন্দি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৭২
|-
|১৬১ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিংড়ি মুগের ডাল]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৮৪
|-
|১৬২ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/অনুশীলন: স্ট্যান্ডার্ড লাইব্রেরি]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৫১১
|-
|১৬৩ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/ফাংশনের জন্য স্যুডোকোড উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ২২৫
|-
|১৬৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:সাদা ইলিশ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৭৩
|-
|১৬৫ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/অনুশীলন: নির্দিষ্ট কাজের ফাংশন]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৬৮১
|-
|১৬৬ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/স্ট্যান্ডার্ড লাইব্রেরি]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ১১২০
|-
|১৬৭ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/রিটার্ন স্টেটমেন্ট]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৫৮৬
|-
|১৬৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:কলমি চিংড়ি ভাজা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৭৬
|-
|১৬৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:রন্ধনপ্রণালী:ভেটকি পোস্তো]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৬৪
|-
|১৭০ || [[রন্ধনপ্রণালী:খেজুর চিংড়ি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৮৮
|-
|১৭১ || [[রন্ধনপ্রণালী:ইলিশ মাছের মুড়িঘন্ট]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৩৮
|-
|১৭২ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিংড়ি মাছের ঘুগনি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩১৩
|-
|১৭৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:আম চিংড়ী]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৩৪
|-
|১৭৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিংড়ি মধুক্ষীরা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৫৯
|-
|১৭৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:শিংমাছে করোলা চচ্চড়ি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৯০
|-
|১৭৬ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/নেস্টেড ইফ দেন এলস]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৪৯৩
|-
|১৭৭ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/বহুমাত্রিক অ্যারে]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৬৭৮
|-
|১৭৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:লাউপাতার খিলিতে কাচকি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩১৫
|-
|১৭৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:রুপচাদা দোপেঁয়াজা]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩১৬
|-
|১৮০ || [[রন্ধনপ্রণালী:মাছের ডিমের পুঁইখিলি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৬৭
|-
|১৮১ || [[রন্ধনপ্রণালী:কই মাছের দোপেঁয়াজা]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৮৪
|-
|১৮২ || [[রন্ধনপ্রণালী:দোমাছা]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৮১
|-
|১৮৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:গোকুল পিঠে]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৬৯
|-
|১৮৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:ছানা গজা]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৭১
|-
|১৮৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:ছানাবড়া]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩৩৭
|-
|১৮৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:রসাবলী]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৩৬
|-
|১৮৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:সাগর দই]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৮১
|-
|১৮৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:ছানার জিলিপি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৬৭
|-
|১৮৯ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/মডুলার প্রোগ্রামিং]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ২১৫৪
|-
|১৯০ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/ইনপুট-প্রসেস-আউটপুট মডেল]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৪৮৩
|-
|১৯১ || [[রন্ধনপ্রণালী:পেঁয়াজের পায়েস]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৬৬
|-
|১৯২ || [[রন্ধনপ্রণালী:মালাই সন্দেশ]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২১২
|-
|১৯৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:রাজভোগ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩১৪
|-
|১৯৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:সজনে ফুল ভাজি]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২৩৪
|-
|১৯৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:নটিশাক]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২২৪
|-
|১৯৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:ঘি ভাত]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২৭৪
|-
|১৯৭ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/হায়ারার্কি বা স্ট্রাকচার চার্ট]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩৬৪
|-
|১৯৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:ঘন দুধের সন্দেশ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩৭৩
|-
|১৯৯ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/আইডেন্টিফায়ারের নাম]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৪১১
|-
|২০০ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/ইনপুট এবং আউটপুট]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ৪৩২
|-
|২০১ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/ফাইল ইনপুট এবং আউটপুট]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ১৯৫৫
|-
|২০২ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/ব্রাঞ্চিং স্টেটমেন্ট]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ২১৫০
|-
|মোট পাতা:||২০২||মোট শব্দ:||৮১৩৮৫
|}
== [[বাবহারকারী:Firuz Ahmmed|Firuz Ahmmed]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|১ || [[জাপানের ইতিহাস: পুরাণ থেকে জাতিসত্ত্বা/মেইজি যুগ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩১৯৩
|-
|২ || [[জাপানের ইতিহাস: পুরাণ থেকে জাতিসত্ত্বা/দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩০০২
|-
|৩ || [[জাপানের ইতিহাস: পুরাণ থেকে জাতিসত্ত্বা/এদো যুগ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩০৩৭
|-
|৪ || [[জাপানের ইতিহাস: পুরাণ থেকে জাতিসত্ত্বা/কেম্মু পুনরুদ্ধার]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১২৯১
|-
|৫ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/উদারবাদ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৪৩১
|-
|৬ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/মার্ক্স ও মার্ক্সবাদীরা]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২৬২
|-
|৭ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/যুক্তিবিদ্যা/আনুষ্ঠানিক যুক্তি]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৪৮
|-
|৮ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/অতীন্দ্রিয়বাদী ধর্মতত্ত্ব ও অতীন্দ্রিয়বাদ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২২০
|-
|৯ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/বিজ্ঞান দর্শন]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৫০৪
|-
|১০ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/নকশা/নথির বিন্যাস]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৬৯৭
|-
|১১ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/প্রাথমিক ধারণা/পুনর্লিখন]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২২১৯
|-
|১২ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/স্টেট ফিডব্যাক]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৭৮৫
|-
|১৩ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/ওপেন সোর্স টুল/জুলিয়া]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ৪১৮
|-
|১৪ || [[ত্রিমাত্রিক মুদ্রণ/রক্ষণাবেক্ষণ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৬
|-
|১৫ || [[ত্রিমাত্রিক মুদ্রণ/ইতিহাস]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৯২
|-
|১৬ || [[ত্রিমাত্রিক মুদ্রণ/ব্যবহৃত উপকরণ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩৫৮
|-
|১৭ || [[ত্রিমাত্রিক মুদ্রণ/উন্নয়ন]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ২২
|-
|১৮ || [[ত্রিমাত্রিক মুদ্রণ/রঙিন মুদ্রণ]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ১৩৫
|-
|১৯ || [[ত্রিমাত্রিক মুদ্রণ/প্রয়োগসমূহ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৭৫
|-
|২০ || [[ত্রিমাত্রিক মুদ্রণ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১১৯
|-
|২১ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/কক্ষের মৌলিক শব্দীয় ব্যবস্থাপনা]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৮৯২
|-
|২২ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/কম্পিউটার মডেল/দেহসংবেদী তন্ত্র সিমুলেশন]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৮৯৪
|-
|২৩ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/মারিম্বার মৌলিক শব্দবিজ্ঞান]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৯৬৬
|-
|২৪ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/মাইক্রোফোন কৌশল]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৪৫০
|-
|২৫ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/অনুমানকারী ও পর্যবেক্ষক]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৮৯০
|-
|২৬ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/ঘ্রাণতন্ত্র/সংবেদী অঙ্গ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৭০
|-
|২৭ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/রোটার-স্টেটর মিথস্ক্রিয়া]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৫২৩
|-
|২৮ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/শব্দতরঙ্গের অ্যাটেনুয়েশন]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৬৩৪
|-
|২৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:মিল্লি ভাত]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৪৪২
|-
|৩০ || [[কোয়ান্টাম জগৎ/প্রভাব ও প্রয়োগ/অস্পষ্ট অবস্থান কীভাবে আরও অস্পষ্ট হয়]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ২৭৪
|-
|৩১ || [[কোয়ান্টাম জগৎ/প্রভাব ও প্রয়োগ/সময়স্বাধীন শ্রোডিনগার সমীকরণ]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৮৫
|-
|৩২ || [[কানাডায় শরনার্থী প্রক্রিয়া/আচরণবিধি]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ১৮৪৫
|-
|৩৩ || [[উইকিশৈশব:চলো নাইকার গুহাতে স্ফটিকীকরণ নিয়ে কথা বলি/১৫ - এখন তুমি জানো কীভাবে স্ফটিক তৈরি হয়েছে]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৬৯
|-
|৩৪ || [[উইকিশৈশব:চলো নাইকার গুহাতে স্ফটিকীকরণ নিয়ে কথা বলি/১৪ - উভয় গুহায় তাপমাত্রা]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৮৪
|-
|৩৫ || [[উইকিশৈশব:চলো নাইকার গুহাতে স্ফটিকীকরণ নিয়ে কথা বলি/১৩ - স্ফটিকের গুহায় স্ফটিক গঠন]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৯৯
|-
|৩৬ || [[উইকিশৈশব:চলো নাইকার গুহাতে স্ফটিকীকরণ নিয়ে কথা বলি/১১ - অণুগুলো স্তরে স্তরে একত্রিত হয়]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৮১
|-
|৩৭ || [[উইকিশৈশব:চলো নাইকার গুহাতে স্ফটিকীকরণ নিয়ে কথা বলি/১০ - জিপসাম স্ফটিকের পরমাণু ও অণু]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৯০
|-
|৩৮ || [[উইকিশৈশব:চলো নাইকার গুহাতে স্ফটিকীকরণ নিয়ে কথা বলি/৮ - কাচ ও স্ফটিকের অণু]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৮৩
|-
|৩৯ || [[উইকিশৈশব:চলো নাইকার গুহাতে স্ফটিকীকরণ নিয়ে কথা বলি/৭ - সবকিছু পরমাণু দিয়ে গঠিত]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৭৭
|-
|৪০ || [[উইকিশৈশব:চলো নাইকার গুহাতে স্ফটিকীকরণ নিয়ে কথা বলি/৬ - কাচ ও স্ফটিক]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৭৩
|-
|৪১ || [[উইকিশৈশব:চলো নাইকার গুহাতে স্ফটিকীকরণ নিয়ে কথা বলি/৫ - উভয় গুহায় জিপসাম স্ফটিক]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৬৭
|-
|৪২ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/জেফারসনীয় গণতন্ত্র]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ২১২০
|-
|৪৩ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/ধর্মীয় আন্দোল]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৯৩৯
|-
|৪৪ || [[উইকিশৈশব:চলো নাইকার গুহাতে স্ফটিকীকরণ নিয়ে কথা বলি/৪ - স্ফটিকের গুহা]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৭০
|-
|৪৫ || [[উইকিশৈশব:চলো নাইকার গুহাতে স্ফটিকীকরণ নিয়ে কথা বলি/২ - নাইকার গুহাসমূহ]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৬৬
|-
|৪৬ || [[উইকিশৈশব:চলো নাইকার গুহাতে স্ফটিকীকরণ নিয়ে কথা বলি/৩ - তরবারির গুহা]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৬৮
|-
|৪৭ || [[কোয়ান্টাম জগৎ/প্রভাব ও প্রয়োগ/সম্ভাব্যতার প্রবাহ]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৩৪৯
|-
|৪৮ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/দৃষ্টিতন্ত্র/চিত্র প্রক্রিয়াকরণ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৭৬০
|-
|৪৯ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/সিস্টেম ডেভেলপমেন্ট লাইফ সাইকেল]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৫৫১
|-
|৫০ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/স্ট্রাকচার্ড প্রোগ্রামিং]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৬৭৪
|-
|৫১ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/সি++ ভেরিয়েবল উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৫৬০
|-
|৫২ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/জাভা ভেরিয়েবল উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৪৫৯
|-
|৫৩ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/টাইপডেফ সহ বহুমুখী কোড]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৪৩০
|-
|৫৪ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/গেইন]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৫১
|-
|৫৫ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/অনুশীলন: লুপের আগে পরীক্ষা]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৪৬০
|-
|৫৬ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/স্যুডোকোড]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৩৫৬
|-
|৫৭ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/ফ্ল্যাগ ধারণা/ওশেনিয়ার ফ্ল্যাগ]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ২৮
|-
|৫৮ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/ঘ্রাণতন্ত্র/সংবেদী অঙ্গের উপাদান]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৭৯৩
|-
|৫৯ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/স্নায়ুসংবেদী ইমপ্লান্ট/দৃষ্টি ইমপ্লান্ট]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৮৯
|-
|৬০ || [[মাধ্যমিক পদার্থবিজ্ঞান/সংক্ষিপ্ত দৃষ্টিপাত]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৪৮০
|-
|৬১ || [[মাধ্যমিক পদার্থবিজ্ঞান/পদার্থবিজ্ঞান পরীক্ষা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৮৪
|-
|৬২ || [[মাধ্যমিক পদার্থবিজ্ঞান/নিউটনের আপেল]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৭১
|-
|৬৩ || [[মাধ্যমিক পদার্থবিজ্ঞান/ঘূর্ণন গতি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৬৭
|-
|৬৪ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/ম্যানাকিন পাখির অনুরণিত পালক]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৬৯৪
|-
|৬৫ || [[মাধ্যমিক পদার্থবিজ্ঞান/সহজ দোলন]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৯৬
|-
|৬৬ || [[মাধ্যমিক পদার্থবিজ্ঞান/তরঙ্গ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৮৭
|-
|৬৭ || [[মাধ্যমিক পদার্থবিজ্ঞান/বেগ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৯৬
|-
|৬৮ || [[মাধ্যমিক পদার্থবিজ্ঞান/মহাকর্ষ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৬৬
|-
|৬৯ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/কক্ষ শব্দবিজ্ঞান ও কনসার্ট হল]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৬২৬
|-
|৭০ || [[রন্ধনপ্রণালী:চপ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৪৯
|-
|৭১ || [[রন্ধনপ্রণালী:কাচকি মাছ ভাজি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩১৫
|-
|৭২ || [[রন্ধনপ্রণালী:কাচকি মাছের চচ্চড়ি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৭৮
|-
|৭৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:লেটুস পাতা ভাজি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩২১
|-
|৭৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:সজনে পাতার ভাজি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৩৪
|-
|৭৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:কচুর লতি ভাজি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৩০
|-
|৭৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:ময়দার নুডলস]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৪৮১
|-
|৭৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:কাঁচকলার ডালনা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৭৭
|-
|৭৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:টক দই চাট]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩২৩
|-
|৭৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:ডালের চচ্চড়ি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৯৬
|-
|৮০ || [[রন্ধনপ্রণালী:সবজি মিক্স চপ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৫৩
|-
|৮১ || [[রন্ধনপ্রণালী:সবজির স্যান্ডউইচ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩১৫
|-
|৮২ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/গাড়ির মাফলার]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৯৪৮
|-
|৮৩ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/গাড়ির মাফলার: অ্যানিমেশন]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৬৪
|-
|৮৪ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/ডিজিটাল সিস্টেম]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১১৯
|-
|৮৫ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/সোনার]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৪৪
|-
|৮৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:লাল শাক ভর্তা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৪২৬
|-
|৮৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:আনারসের আচারি চিকেন]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৫৭৫
|-
|৮৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:মিষ্টি কুমড়ার চচ্চড়ি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৪৫৪
|-
|৮৯ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/শব্দের গতি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৪৪৪
|-
|৯০ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/স্বররজ্জু]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৫৯২
|-
|৯১ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/বজ্রপাতের শব্দবিজ্ঞান]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১০৯৪
|-
|৯২ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/কর্ণের যান্ত্রিক মডেলিং]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩৯
|-
|৯৩ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/উদাহরণসমূহ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩৩
|-
|৯৪ || [[কোয়ান্টাম জগৎ/আপেক্ষিকতা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৪৯৩
|-
|৯৫ || [[কোয়ান্টাম জগৎ/পরমাণু]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ৮২৯
|-
|৯৬ || [[তড়িৎচৌম্বকীয় বিকিরণ/অবলোহিত রশ্মি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১২৩
|-
|৯৭ || [[তড়িৎচৌম্বকীয় বিকিরণ/পরিমাপের এককসমূহ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩১০
|-
|৯৮ || [[তড়িৎচৌম্বকীয় বিকিরণ/বেতার তরঙ্গ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৪১০
|-
|৯৯ || [[তড়িৎচৌম্বকীয় বিকিরণ/বর্ণালীর ব্যান্ডসমূহ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৮৮
|-
|১০০ || [[তড়িৎচৌম্বকীয় বিকিরণ/ভূমিকা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৩০
|-
|১০১ || [[তড়িৎচৌম্বকীয় বিকিরণ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৬
|-
|১০২ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিংড়ি-মুগডালের খিচুড়ি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩২৮
|-
|১০৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:দই বড়া]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৪২
|-
|১০৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:ডিমের স্যান্ডউইচ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২০৮
|-
|১০৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:কাঁচা আম ভর্তা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৯৩
|-
|১০৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:লাল শাক ভাজি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২১৮
|-
|১০৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:মাছের কোপ্তা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩০৪
|-
|১০৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:সাদা পোলাও]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২২৮
|-
|১০৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:ডালের বড়া]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২০৭
|-
|১১০ || [[রন্ধনপ্রণালী:দুধ পিঠা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৫৬৯
|-
|১১১ || [[রন্ধনপ্রণালী:পুঁই শাক]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৪৪১
|-
|১১২ || [[রন্ধনপ্রণালী:নেহারি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৬৪৪
|-
|১১৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:কাঁচা কলা ভাজি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৫৫
|-
|১১৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:কচুশাক]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৫২৯
|-
|১১৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:কলমি শাক]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩১৮
|-
|১১৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:লাল শাক]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৫৩
|-
|১১৭ || [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/গতিশক্তি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১১২
|-
|১১৮ || [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/তরল]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ২৯০
|-
|১১৯ || [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/বৃত্তাকার গতি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৩১
|-
|১২০ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/কম্পাইলার ডিরেক্টিভ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৪৫৭
|-
|১২১ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/নেস্টেড লুপ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৬২৬
|-
|১২২ || [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/পদার্থবিজ্ঞানের ধ্রুবক]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৪৫
|-
|১২৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিংড়ি ভাজা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৮৪
|-
|১২৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:ডিমের ঝোল]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৯৮
|-
|১২৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিকেন সালাদ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২০৬
|-
|১২৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:ডিম সালাদ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৬০
|-
|১২৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:মাছের চপ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৫৯
|-
|১২৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:ডিম স্যুপ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৪৬
|-
|১২৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:সাদা সেমাই]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৬২
|-
|১৩০ || [[রন্ধনপ্রণালী:বিফ বার্গার]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৮৪
|-
|১৩১ || [[রন্ধনপ্রণালী:সবজি পরোটা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩১৮
|-
|১৩২ || [[রন্ধনপ্রণালী:টমেটো ভর্তা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৯৯
|-
|১৩৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:সবজি চপ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩০০
|-
|১৩৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:দুধ চিঁড়া]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৪৭
|-
|১৩৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:ডিম কারি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৫০
|-
|১৩৬ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/এল-ভ্যালু এবং আর-ভ্যালু]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৪৫৬
|-
|১৩৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:বুটের ঘুগনি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩২৪
|-
|১৩৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:মোগলাই পরোটা]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৫৭৪
|-
|১৩৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:বোয়াল মাছের ঝোল]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৩৬
|-
|১৪০ || [[রন্ধনপ্রণালী:মাগুর মাছের কালিয়া]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৮৭
|-
|১৪১ || [[রন্ধনপ্রণালী:মাগুর মাছের কালিয়া]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৮৭
|-
|১৪২ || [[রন্ধনপ্রণালী:রুই মাছের কালিয়া]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৪৭
|-
|১৪৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:রুই মাছের কালিয়া]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৪৭
|-
|১৪৪ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/টাইপডেফ - একটি উপনাম]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৪৬
|-
|১৪৫ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/স্ট্রিং এবং ফাইল]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ১৯১
|-
|১৪৬ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/স্ট্রিং ফাংশন]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৬৭
|-
|১৪৭ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/স্ট্রিং ফরম্যাটিং]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৯২
|-
|১৪৮ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/সুইফট স্ট্রিং উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৪৭০
|-
|১৪৯ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/জাভাস্ক্রিপ্ট স্ট্রিং উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৪০১
|-
|১৫০ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/জাভা স্ট্রিং উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৪৪৪
|-
|১৫১ || [[রন্ধনপ্রণালী:তেলাপিয়া মাছের ভর্তা]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২৪১
|-
|১৫২ || [[রন্ধনপ্রণালী:কাঠালের বিচির চচ্চড়ি]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৩৮
|-
|১৫৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:আমড়ার টক]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৩৩
|-
|১৫৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:আলু পুরি]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২৪৯
|-
|১৫৫ || [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/কাজ]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ৩৫২
|-
|১৫৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:পুরি]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ৩৫৮
|-
|১৫৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:পুঁটি মাছ ভাজা]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ১৯৭
|-
|১৫৮ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/অ্যারের সাহায্যে গণিত পরিসংখ্যান]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ৩১৯
|-
|১৫৯ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/লুপ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৪৪
|-
|১৬০ || [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/স্থির তরঙ্গ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৩৯
|-
|১৬১ || [[রন্ধনপ্রণালী:লাল চা]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ১৯৭
|-
|১৬২ || [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/ইলেকট্রনিক্স]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৭৮৪
|-
|১৬৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:কাঁচা মরিচ ভর্তা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩০৪
|-
|১৬৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:পেঁয়াজ ভর্তা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৮৭
|-
|১৬৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:শুকনা মরিচ ভর্তা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৫০
|-
|১৬৬ || [[সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/খেলার সমাজবিজ্ঞান]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২৩১
|-
|১৬৭ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/ইটারেশন কন্ট্রোল স্ট্রাকচার]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৯৭
|-
|১৬৮ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/সুইফট ফাংশন উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৩০
|-
|১৬৯ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/স্থির এবং ডাইনামিক অ্যারে]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৫৯
|-
|১৭০ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/স্থির এবং ডাইনামিক অ্যারে]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৫৯
|-
|১৭১ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/অ্যারে সদস্য প্রদর্শন]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ৩৯৫
|-
|১৭২ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/সুইফট শর্তের উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৩৫৮
|-
|১৭৩ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/ফাংশন]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ১২৭
|-
|১৭৪ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/ASCII ক্যারেক্টার সেট]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৯৮
|-
|১৭৫ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/নিজের জ্ঞান যাচাইয়ের উত্তরমালা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৬৫
|-
|মোট পাতা:||১৭৫||মোট শব্দ:||৭২৮২৬
|}
== [[বাবহারকারী:Md Mobashir Hossain|Md Mobashir Hossain]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|১ || [[রন্ধনপ্রণালী:মাকুন্দা পিঠা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৬৮
|-
|২ || [[উইকিশৈশব:গ্ৰাফিতিতে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান/ওই মামা না প্লিজ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১০৯
|-
|৩ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/ব্যবসায়িক যোগাযোগ/শুরু]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৩২৩
|-
|৪ || [[উইকিশৈশব:গ্ৰাফিতিতে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান/কারার ঐ লৌহকপাট]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৩৬
|-
|৫ || [[কোয়ান্টাম জগৎ/প্রভাব ও প্রয়োগ/একটি কোয়ান্টাম বাউন্সিং বল]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২৩৬
|-
|৬ || [[চিন্তন ও নির্দেশনা/ভূমিকা]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ৩১৯
|-
|৭ || [[কোয়ান্টাম জগৎ/ফেইনম্যান রুট/শেষে শ্রোডিনগার]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২৪৯
|-
|৮ || [[উইকিশৈশব:গ্ৰাফিতিতে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান/জেন জি]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৪৭
|-
|৯ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/পরিচিতি]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৫৪
|-
|১০ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/ভূমিকা]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৯২
|-
|১১ || [[উইকিশৈশব:গ্ৰাফিতিতে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান/পানি লাগবে]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৫৫
|-
|১২ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/ঘ্রাণতন্ত্র/ফেরোমোন ও ভোমেরোনাসাল তন্ত্র]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩৬১
|-
|১৩ || [[কোয়ান্টাম জগৎ/সম্ভাব্যতা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৭৬৭
|-
|১৪ || [[কোয়ান্টাম জগৎ/অনির্দিষ্ট সমাকলন]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৫৯
|-
|১৫ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/শব্দীয় লেভিটেশন]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৬১২
|-
|১৬ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/বীমফর্মিং]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৩৫
|-
|১৭ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/শব্দীয় গিটার]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ৩৮৬
|-
|১৮ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/শব্দীয় গিটার]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ৩৮৬
|-
|১৯ || [[কোয়ান্টাম জগৎ/ক্যালকুলাস]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৪০১
|-
|২০ || [[রন্ধনপ্রণালী:শিং মাছের ঝোল]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২২০
|-
|২১ || [[সাধারণ বলবিজ্ঞান/কঠিন বস্তু]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২১৬
|-
|২২ || [[রন্ধনপ্রণালী:ঢাকাই পরোটা]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২৮০
|-
|২৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:ফালুদা]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২৫৪
|-
|২৪ || [[সাধারণ বলবিজ্ঞান/আংশিক উৎপন্ন]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৩১৪
|-
|২৫ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/জাভাস্ক্রিপ্ট ভেরিয়েবল উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৫০৬
|-
|২৬ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/পাইথন ভেরিয়েবল উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৯৬
|-
|২৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:টাকি মাছ ভুনা]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২২৮
|-
|২৮ || [[সাধারণ বলবিজ্ঞান/স্থিতিবিদ্যা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৭০
|-
|২৯ || [[সাধারণ বলবিজ্ঞান/গতিবিদ্যার মৌলিক নীতিমালা]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৬৫১
|-
|৩০ || [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/শব্দ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৪৯০
|-
|৩১ || [[রন্ধনপ্রণালী:বিফ নুডলস]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৩৮
|-
|৩২ || [[মানব শারীরতত্ত্ব/রক্ত শারীরতত্ত্ব]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৪৫৪০
|-
|৩৩ || [[সাধারণ বলবিজ্ঞান/নিউটনের নিয়মের বিকল্প রূপ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৬২৯
|-
|৩৪ || [[সাধারণ বলবিজ্ঞান/নিউটনের নিয়ম ব্যবহার করে বিশ্লেষণ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৩২
|-
|৩৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:বিফ ভুনা]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৫৭
|-
|৩৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিকেন উইংস]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৯৭
|-
|৩৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিকেন ফ্রাই]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৩৮
|-
|৩৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:ডিমের পুরি]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ২৩৪
|-
|৩৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:লাচ্ছা সেমাই]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২০২
|-
|৪০ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিকেন নাগেট]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২১০
|-
|৪১ || [[রন্ধনপ্রণালী:পায়া]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৩২
|-
|৪২ || [[রন্ধনপ্রণালী:শিক কাবাব]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৬৬
|-
|৪৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:সর্ষে ইলিশ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৮৯
|-
|৪৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:বিফ রোল]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ১২৬
|-
|৪৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:রোল]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ১২৭
|-
|৪৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:রোল]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ১২৭
|-
|৪৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিকেন রোল]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৬৫
|-
|৪৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:সিঙ্গারা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৯৮
|-
|৪৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:লুচি]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৩৯
|-
|৫০ || [[রন্ধনপ্রণালী:ইলিশ ভাজা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১২২
|-
|৫১ || [[রন্ধনপ্রণালী:ইলিশ ভাজা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১২২
|-
|৫২ || [[রন্ধনপ্রণালী:বেগুনি]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৬৭
|-
|৫৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:বেগুনি]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৬৭
|-
|৫৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:বিফ তন্দুরি]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৯৬
|-
|৫৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:মুরগির তন্দুরি]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৯৪
|-
|৫৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:ডিম ভুনা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৭৮
|-
|৫৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:ডিম পোচ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৪৯
|-
|৫৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:তেহারি]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২২২
|-
|৫৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:পুঁই শাক চচ্চড়ি]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৯৮
|-
|৬০ || [[রন্ধনপ্রণালী:পেঁয়াজু]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২০৫
|-
|৬১ || [[লুইস ক্যারল/থ্রু দ্য লুকিং-গ্লাস]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২৮২
|-
|৬২ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/সি++ অবজেক্ট উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২২৪
|-
|৬৩ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/সি++ পরিচিতি উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২১২
|-
|৬৪ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/জাভাস্ক্রিপ্ট লুপ উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২৯৬
|-
|৬৫ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/পাইথন লুপ উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৯৩
|-
|৬৬ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/সি-শার্প লুপ উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২৪০
|-
|৬৭ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/সি++ লুপ উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২৭৯
|-
|৬৮ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/সি++ শর্তের উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৩১৩
|-
|৬৯ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/সি++ ফাংশন উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৩৩
|-
|৭০ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/সি-শার্প ফাংশন উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১২৯
|-
|৭১ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/পাইথন ফাংশন উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১১৯
|-
|৭২ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/পাইথন ফাংশন উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১১৯
|-
|৭৩ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/জাভা ফাংশন উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১২১
|-
|৭৪ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/জাভা ফাংশন উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১২১
|-
|৭৫ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/জাভাস্ক্রিপ্ট ফাংশন উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৮৫
|-
|৭৬ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/জাভাস্ক্রিপ্ট ফাংশন উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৮৫
|-
|৭৭ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/পাইথন শর্তের উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৫৮
|-
|৭৮ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/পাইথন শর্তের উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৫৮
|-
|৭৯ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/জাভাস্ক্রিপ্ট শর্তের উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ৩৪৭
|-
|৮০ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/জাভাস্ক্রিপ্ট শর্তের উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ৩৪৭
|-
|৮১ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/সি-শার্প শর্তের উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ২৮৪
|-
|৮২ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/জাভা শর্তের উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ২৯২
|-
|৮৩ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৯৩
|-
|৮৪ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/সি-শার্প অ্যারে উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ৪০৪
|-
|৮৫ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/সি++ অ্যারে উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ৪৯৯
|-
|৮৬ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/জাভাস্ক্রিপ্ট অ্যারে উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:Maruf|Maruf]] || ৪২৬
|-
|৮৭ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/জাভা অ্যারে উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:Maruf|Maruf]] || ৩৯৫
|-
|৮৮ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/জাভা অ্যারে উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:Maruf|Maruf]] || ৩৯৫
|-
|৮৯ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/পাইথন অ্যারে উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:Maruf|Maruf]] || ২৮৭
|-
|৯০ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/সি++ অপারেটরের সংক্ষিপ্ত অগ্রাধিকার তালিকা]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৪৮
|-
|মোট পাতা:||৯০||মোট শব্দ:||২৮৬৭০
|}
== [[বাবহারকারী:M.Asaduzzaman sahed|M.Asaduzzaman sahed]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|১ || [[সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/সমাজায়ন]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৫২৩
|-
|২ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/অন্বেষণ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৩৪৬
|-
|৩ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/কেনেডি এবং জনসন]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৫৭৯০
|-
|৪ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/ফোর্ড কার্টার রিগ্যান]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৫২২৭
|-
|৫ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/পশ্চিমমুখী সম্প্রসারণ এবং প্রকাশ্য নিয়তি]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৪০৩৭
|-
|৬ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/উন্নয়নসমূহ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২১৭৩
|-
|৭ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/প্রগতিশীল যুগ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২৬০৮
|-
|৮ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও পারমাণবিক যুগের উত্থান]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৪৬০২
|-
|৯ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/নিক্সন এবং ইন্দোচীন]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৪০০৯
|-
|১০ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/আমেরিকান বিপ্লব]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩২৩৪
|-
|১১ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/যুদ্ধ, জাতীয়তাবাদ ও বিভাজন]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৮২৭৯
|-
|১২ || [[মানব শারীরতত্ত্ব/অনাক্রম্যতন্ত্র]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৮৮৩২
|-
|১৩ || [[সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/রাজনীতি]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৩৩৬৮
|-
|১৪ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/পতঙ্গ/ঘ্রাণতন্ত্র]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৭২৩
|-
|১৫ || [[সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/প্রাতিষ্ঠানিক আচরণ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৯৭৪৯
|-
|১৬ || [[সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/গণমাধ্যম]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৬৫৮
|-
|১৭ || [[সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/প্রত্যপথগামিতা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৮৪৪
|-
|১৮ || [[সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/সামাজিক মনোবিজ্ঞান]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৯৪১০
|-
|১৯ || [[মানব শারীরতত্ত্ব/অনুভূতি]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৮৩০৮
|-
|২০ || [[সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/সামাজিক কাঠামো]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১০০৫
|-
|২১ || [[সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/স্তরীকরণ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৪১০২
|-
|২২ || [[সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/সমাজবিজ্ঞানের তত্ত্ব]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৪৭১৫
|-
|২৩ || [[সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/মানব বাস্তুসংস্থান ও পরিবেশ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৬০৩
|-
|২৪ || [[সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/গোষ্ঠী]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৬৫১৪
|-
|২৫ || [[লুইস ক্যারল/ভূমিকা]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ১৭৩
|-
|২৬ || [[লুইস ক্যারল/জ্যামিতি এবং যুক্তি]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ১৩৩
|-
|২৭ || [[লুইস ক্যারল/প্রাথমিক জীবন]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৪২২
|-
|২৮ || [[লুইস ক্যারল/রাজবংশ থেকে আগত]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২৬৩
|-
|২৯ || [[লুইস ক্যারল/বংশপরিচয়]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ১৫০১
|-
|৩০ || [[লুইস ক্যারল/বংশপরিচয়]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ১৫০১
|-
|৩১ || [[লুইস ক্যারল/অ্যালিস ইন ওয়ান্ডারল্যান্ড]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৪৬৪
|-
|৩২ || [[লুইস ক্যারল/শিশু বন্ধু ও প্রাপ্তবয়স্ক বন্ধু]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৯০১
|-
|৩৩ || [[লুইস ক্যারল/শিশু বন্ধু ও প্রাপ্তবয়স্ক বন্ধু]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৯০১
|-
|মোট পাতা:||৩৩||মোট শব্দ:||১১০৯১৮
|}
== [[বাবহারকারী:Nettime Sujata|Nettime Sujata]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|১ || [[জাপানের ইতিহাস: পুরাণ থেকে জাতিসত্ত্বা/ভূমিকা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩০০৯
|-
|২ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/নৈতিকতা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৩৫১
|-
|৩ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/প্রশ্নোত্তর]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ১৭১৮
|-
|৪ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/শব্দীয় মাইক্রো পাম্প]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৯৫৩
|-
|৫ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/শব্দীয় গিটার কীভাবে কাজ করে]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৮৪৫
|-
|৬ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/শ্রবণ সুরক্ষা]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১১৮৪
|-
|৭ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/মাইক্রোফোন ডিজাইন ও পরিচালনা]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৮৯০
|-
|মোট পাতা:||৭||মোট শব্দ:||১১৯৫০
|}
== [[বাবহারকারী:Md.Farhan Mahmud|Md.Farhan Mahmud]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|১ || [[কোয়ান্টাম জগৎ/খেলা]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২১৫
|-
|মোট পাতা:||১||মোট শব্দ:||২১৫
|}
== [[বাবহারকারী:Salil Kumar Mukherjee|Salil Kumar Mukherjee]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|১ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/সূচিপত্র]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৪৭৫
|-
|২ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/মূল বিষয়সূচি]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩৯৪
|-
|৩ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/উৎস নথিভুক্তকরণ/MLA শৈলী পাদটীকা ও অন্তটীকা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩৬১
|-
|৪ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/উৎস নথিভুক্তকরণ/MLA শৈলী সংক্ষিপ্ত উদ্ধৃতি]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৭৩
|-
|৫ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/উৎস নথিভুক্তকরণ/APA শৈলী পাঠ্যভিত্তিক উদ্ধৃতি]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৬৪
|-
|৬ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/উৎস নথিভুক্তকরণ/পাঠ্যের মধ্যে উদ্ধৃতির অবস্থান]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৪২
|-
|৭ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/উৎস নথিভুক্তকরণ/উদ্ধৃতির মৌলিক নির্দেশিকা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৩০
|-
|৮ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/উৎস নথিভুক্তকরণ/সঠিক নথিভুক্তি নির্বাচন]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১২৪
|-
|৯ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৩৮
|-
|১০ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/উৎস নথিভুক্তকরণ/উৎস নথিভুক্তির কারণ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৭৮
|-
|১১ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/গ্রন্থের ইতিহাস]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩৯৫
|-
|১২ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/প্রাথমিক ধারণা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৭৩
|-
|১৩ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/উৎসর্গ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৪১
|-
|১৪ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/হাইড্রোলিক সিস্টেমে কোলাহল]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৭০০
|-
|১৫ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/অরৈখিক সিস্টেম]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৯০
|-
|মোট পাতা:||১৫||মোট শব্দ:||৫২৭৮
|}
== [[বাবহারকারী:Farihat Mahirah|Farihat Mahirah]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|১ || [[জাপানের ইতিহাস: পুরাণ থেকে জাতিসত্ত্বা/সামরিকতন্ত্রের উত্থান]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৩৭১
|-
|মোট পাতা:||১||মোট শব্দ:||৩৭১
|}
== [[বাবহারকারী:নিয়াজ ইসলাম|নিয়াজ ইসলাম]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|১ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/যুক্তিবিদ্যা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩২৬
|-
|২ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/যুক্তিবিদ্যা/ন্যান্ড ও নর]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ১৬৩
|-
|৩ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/সম্পাদনার জন্য উপকরণ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১২০
|-
|৪ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/পাতা উল্টানোর নির্দেশনা]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৩৫
|-
|৫ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/উৎস নথিভুক্তকরণ/MLA শৈলী]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৫৪
|-
|৬ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/উৎস নথিভুক্তকরণ/APA শৈলী]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১১৭
|-
|৭ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/উৎস নথিভুক্তকরণ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৬০
|-
|৮ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/প্রচ্ছদ]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ১৪০
|-
|৯ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/লেখক/MK]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৪৮
|-
|১০ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/যুক্তিবিদ্যা/গ্রন্থপঞ্জি]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৮৩
|-
|১১ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/যুক্তিবাদ]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ১১২
|-
|১২ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/দর্শন করা বলতে কী বোঝায়?]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১০০
|-
|১৩ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/জেন বৌদ্ধধর্ম]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ১৭৬
|-
|১৪ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/মানক ফর্ম]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৮০৭
|-
|১৫ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/লেখকবৃন্দ]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৩৮
|-
|১৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:মসুর ডাল]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২২৪
|-
|১৭ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/সূচীপত্র]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৯৬
|-
|১৮ || [[সাধারণ বলবিজ্ঞান/সূচক সংজ্ঞা]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ১৩২
|-
|১৯ || [[সাধারণ বলবিজ্ঞান/বহু কণার গতি]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ১০২
|-
|২০ || [[সাধারণ বলবিজ্ঞান/মাখের নীতি]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ১৯
|-
|২১ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/প্রচ্ছদ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৪
|-
|২২ || [[সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/সামরিক বাহিনী]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১২০
|-
|২৩ || [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ৯২
|-
|২৪ || [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/পদার্থবিজ্ঞানের উদ্দেশ্য]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৬
|-
|২৫ || [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/উদ্দেশ্য]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৬৩
|-
|২৬ || [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/ঘর্ষণ সহগ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১০১
|-
|২৭ || [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/ভরকেন্দ্র]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৪
|-
|২৮ || [[লুইস ক্যারল]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৪৫
|-
|২৯ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/ভূমিকা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৮২
|-
|৩০ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/শব্দকোষ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২১
|-
|৩১ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/হৃদযন্ত্র]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ২৫
|-
|৩২ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/স্বীকৃতি]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৩৬
|-
|৩৩ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৭২
|-
|৩৪ || [[তত্ত্ব শিখন/প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষণ: আন্তঃপ্রতিষ্ঠানিক]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৪৭৩
|-
|৩৫ || [[তত্ত্ব শিখন]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৯০
|-
|মোট পাতা:||৩৫||মোট শব্দ:||৫৬৪৬
|}
== [[বাবহারকারী:Parishexplorer|Parishexplorer]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|মোট পাতা:||০||মোট শব্দ:||০
|}
== [[বাবহারকারী:Ridnin Riz|Ridnin Riz]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|১ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/উৎস নথিভুক্তকরণ/MLA শৈলী সারণি ও চিত্র]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৪১৮
|-
|মোট পাতা:||১||মোট শব্দ:||৪১৮
|}
== [[বাবহারকারী:Sheikh Mehedi Hassan|Sheikh Mehedi Hassan]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|১ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/যুক্তিবিদ্যা/ভূমিকা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৭৫১
|-
|২ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/আধ্যাত্মিক অভিজ্ঞতা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩৪৬
|-
|৩ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/জ্ঞানতত্ত্ব কী?]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৪৪১
|-
|৪ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/যুক্তিবিদ্যা/ত্রুটি নির্ণয়]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৮০
|-
|৫ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/স্বাধীনতাবাদ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২২৭
|-
|৬ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/অলঙ্করণ/অলঙ্করণাল কাঠামো]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৬৩৪
|-
|৭ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/অলঙ্করণ/লেখক]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ১৩৪২
|-
|৮ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/নির্দেশাবলি/চিত্র]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৫২৭
|-
|৯ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/সম্পদ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৭৫৮
|-
|১০ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/অলঙ্করণ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১০৩৯
|-
|১১ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/অলঙ্করণ/শ্রোতা]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৫৬৬
|-
|১২ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/অলঙ্করণ/প্রসঙ্গ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৪৭০
|-
|১৩ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/অলঙ্করণ/বিষয়]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩৩৮
|-
|১৪ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/উৎস নথিভুক্তকরণ/APA শৈলী রেফারেন্স তালিকা]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৬১৯
|-
|১৫ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/ট্রান্সফার ফাংশন]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৬১৮
|-
|১৬ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/অলঙ্করণ/উদ্দেশ্য]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৯৬৭
|-
|১৭ || [[সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/সমাজবিজ্ঞানীয় পদ্ধতি]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ৪৭৩৪
|-
|১৮ || [[সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/বিশিষ্ট সমাজবিজ্ঞানী]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২০১
|-
|১৯ || [[মানব শারীরতত্ত্ব/নারী প্রজননতন্ত্র]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৭৫৫৪
|-
|২০ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/বেস রিফ্লেক্স এনক্লোজার ডিজাইন]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ১৪৫০
|-
|২১ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/কি-ওয়ার্ড]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৩৪
|-
|২২ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকার/মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টীকাযুক্ত সংবিধান]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ৫৮৭৮
|-
|২৩ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/ঔপনিবেশিক ধর্ম]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৪৪৩
|-
|২৪ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/তৃতীয় পক্ষ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৭৫২
|-
|২৫ || [[আইবি আমেরিকা ইতিহাস]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ১৩৪৪
|-
|২৬ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/ক্লারিনেটের শব্দবিজ্ঞান]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৭৪৬
|-
|২৭ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/ম্যাটল্যাব]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৪০৬
|-
|২৮ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/শক-তরঙ্গের গুণগত বর্ণনা]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৩৯০
|-
|২৯ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/বহিরাঙ্গনে শব্দ সঞ্চালন]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২০৯১
|-
|৩০ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/রূপান্তর পরিশিষ্ট]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৭২৭
|-
|৩১ || [[কোয়ান্টাম জগৎ/ফেইনম্যান রুট/কোয়ান্টাম থেকে ধ্রুপদী]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২১৫৮
|-
|৩২ || [[কোয়ান্টাম জগৎ/আপেক্ষিকতা/লরেন্জ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৭৬৯
|-
|৩৩ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/জুরি পরীক্ষা]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৮১৬
|-
|৩৪ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/শব্দচালিত সিস্টেম]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৬৭৮
|-
|৩৫ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/নাইকুইস্ট স্থিতিশীলতা মানদণ্ড]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১১৬৫
|-
|৩৬ || [[কোয়ান্টাম জগৎ/প্রভাব ও প্রয়োগ/পর্যবেক্ষণযোগ্য ও অপারেটর]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৪৮৯
|-
|৩৭ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/গৃহযুদ্ধ]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৭৯৪৩
|-
|৩৮ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/আর্থ্রোপড/ম্যান্টিস চিংড়ি]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ৭৯৩
|-
|৩৯ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/পিজোইলেকট্রিক শব্দ সংবেদক]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১০১৩
|-
|৪০ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/সিলড বক্স সাবউফার ডিজাইন]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৮৪৯
|-
|৪১ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/শব্দকোষ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২২২৩
|-
|৪২ || [[কানাডায় শরনার্থী প্রক্রিয়া/এই লেখার সম্পর্কে]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১১৮৯
|-
|৪৩ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৮৬০
|-
|৪৪ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৮৬০
|-
|৪৫ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/পেশী]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৯৪৭
|-
|৪৬ || [[সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/সমাজবিজ্ঞানের ভিডিও]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ৬৪২
|-
|৪৭ || [[সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/কোর্স গ্রহণ]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২০
|-
|৪৮ || [[অতীন্দ্রিয়বাদ/আলোচনা]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৫৭১৯
|-
|৪৯ || [[সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/প্রযুক্তি, ইন্টারনেট ও ভার্চুয়াল জগৎ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৬৮৭
|-
|৫০ || [[সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/বার্ধক্য]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২৬৫০
|-
|৫১ || [[রন্ধনপ্রণালী:বুটের ডাল]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২১৬
|-
|৫২ || [[রন্ধনপ্রণালী:মিষ্টি কুমড়ো ভাজি]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ২২৪
|-
|৫৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:শিমের দানা ভুনা]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ২৬০
|-
|৫৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:ঢেঁড়স ভাজি]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ২১৭
|-
|৫৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:পালং শাক ভাজি]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ২২৩
|-
|৫৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:সবজি কারি]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ২৯২
|-
|৫৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:মাছের বড়া]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ২৮৬
|-
|৫৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:টমেটো সালাদ]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২০৬
|-
|৫৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:শসার সালাদ]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২০৫
|-
|৬০ || [[রন্ধনপ্রণালী:টক দই]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ১৯৩
|-
|৬১ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিকেন কোপ্তা]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৯৪
|-
|৬২ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিকেন কোপ্তা]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৯৪
|-
|৬৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:ডিম রোল]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৫৭
|-
|৬৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:গুড়ের পায়েস]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২২৭
|-
|৬৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:আনারসের চাটনি]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২২৭
|-
|৬৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:আনারসের চাটনি]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২২৭
|-
|৬৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:সেমাই পায়েস]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২০৮
|-
|৬৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:সেমাই পায়েস]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২০৮
|-
|৬৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:কুলের আচার]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৯৯
|-
|৭০ || [[রন্ধনপ্রণালী:কুলের আচার]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৯৯
|-
|মোট পাতা:||৭০||মোট শব্দ:||৭৮২০৫
|}
== [[বাবহারকারী:Anik Kanti Dey|Anik Kanti Dey]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|১ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/মূল স্থান]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ৭৯৪
|-
|২ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/নিয়ন্ত্রক ও ক্ষতিপূরণকারী]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৭৬২
|-
|৩ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/কম্পিউটার মডেল/দৃষ্টিগত তথ্য প্রক্রিয়াজাতকরণের বর্ণনামূলক সিমুলেশন]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১২৪৪
|-
|৪ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/মানব কণ্ঠস্বর উৎপাদন]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ১০৫৫
|-
|৫ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/ভূমিকা]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ৯৫৯
|-
|৬ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/সাধারণ বৈশিষ্ট্য/অ্যাসোসিয়েশন কর্টেক্স]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৫০৪
|-
|৭ || [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/ভেক্টর ও স্কেলার]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৬৯৪
|-
|৮ || [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/তরঙ্গের অতিঅংশ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৫০৩
|-
|৯ || [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/ঘূর্ণন বল]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ৪৩৮
|-
|১০ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/নিয়ন্ত্রণযোগ্যতা ও পর্যবেক্ষণযোগ্যতা]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৭৩৮
|-
|১১ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/ডিজিটাল স্টেট স্পেস]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৭৩৮
|-
|১২ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/ডিজিটাল ও এনালগ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৭৮৭
|-
|মোট পাতা:||১২||মোট শব্দ:||৯২১৬
|}
== [[বাবহারকারী:Prerana Hatua|Prerana Hatua]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|১ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/সিস্টেম নির্দিষ্টকরণ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৩২
|-
|মোট পাতা:||১||মোট শব্দ:||১৩২
|}
== [[বাবহারকারী:Sagar Mahmud 1122|Sagar Mahmud 1122]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|১ || [[রাজনৈতিক যোগাযোগের উপাদান/প্রচলিত মিডিয়া নির্দেশিকা/সংবাদ বিজ্ঞপ্তি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৬২৮
|-
|২ || [[রাজনৈতিক যোগাযোগের উপাদান/প্রচলিত মিডিয়া নির্দেশিকা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৪
|-
|৩ || [[রাজনৈতিক যোগাযোগের উপাদান/মৌখিক বার্তার নির্দেশিকা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৪
|-
|৪ || [[রাজনৈতিক যোগাযোগের উপাদান/সাধারণ নির্দেশিকা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩২
|-
|৫ || [[উইকিশৈশব:কণা/প্রসারণ না সংকোচন?]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৯৫
|-
|মোট পাতা:||৫||মোট শব্দ:||১০৯৩
|}
== [[বাবহারকারী:রানা123|রানা123]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|১ || [[উইকিশৈশব:কণা/সারাংশ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৫৯৪
|-
|২ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/সমতলীয় তরঙ্গের প্রতিফলন, সঞ্চালন ও প্রতিসরণ]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৮৯
|-
|৩ || [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/ভরবেগ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৮২
|-
|৪ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/উপপ্রস্তাবনা]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৫৪
|-
|৫ || [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/অপটিক্স]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ৪৪৩
|-
|মোট পাতা:||৫||মোট শব্দ:||১৮৬২
|}
== [[বাবহারকারী:Thajib Hossain|Thajib Hossain]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|১ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/অনুশীলন: পয়েন্টার]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৪০২
|-
|২ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/প্রচলিত নিয়ন্ত্রণ]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৩১৭
|-
|মোট পাতা:||২||মোট শব্দ:||৭১৯
|}
== [[বাবহারকারী:Yasser Raihan|Yasser Raihan]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|১ || [[উইকিশৈশব:কণা/ব্রাউনীয় গতি]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩৫২
|-
|মোট পাতা:||১||মোট শব্দ:||৩৫২
|}
== [[বাবহারকারী:MD Sahib|MD Sahib]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|১ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/সরল দোলন]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৮৩
|-
|মোট পাতা:||১||মোট শব্দ:||৩৮৩
|}
== [[বাবহারকারী:Sa'Adat-E-Zubaire|Sa'Adat-E-Zubaire]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|১ || [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/ক্ষেত্র]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২৪৩
|-
|২ || [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/অরাজকতা তত্ত্ব]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২১৮
|-
|৩ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/একাডেমিক বা শিক্ষাগত অসততা]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১২৭৯
|-
|মোট পাতা:||৩||মোট শব্দ:||১৭৪০
|}
== [[বাবহারকারী:Md Rashidul Hasan Biplob|Md Rashidul Hasan Biplob]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|১ || [[সম্পর্ক/মানব মস্তিষ্কের বিকাশ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৯৩০
|-
|২ || [[সম্পর্ক/অ্যাগাপে]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৮৯
|-
|৩ || [[তড়িৎ ও চুম্বক/স্থির তড়িৎ/পটেনশিয়াল গ্রাডিয়েন্ট]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৪০৪
|-
|৪ || [[তড়িৎ ও চুম্বক/স্থির তড়িৎ/একাধিক আধানসৃষ্ট বিভব]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ১৪৮
|-
|৫ || [[তড়িৎ ও চুম্বক/স্থির তড়িৎ/একটি আধানের কুলম্ব বিভব]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ১৬১
|-
|৬ || [[তড়িৎ ও চুম্বক/স্থির তড়িৎ/ক্যাপাসিটর]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৭০
|-
|৭ || [[তড়িৎ ও চুম্বক/স্থির তড়িৎ/পরিবাহীতে স্থির তড়িৎ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩৫০
|-
|৮ || [[তড়িৎ ও চুম্বক/চল তড়িৎ/ব্যাটারি ও জেনারেটর]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৪৩
|-
|৯ || [[তড়িৎ ও চুম্বক/চুম্বকত্ব/চৌম্বকের তড়িচ্চালক শক্তি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৪৪১
|-
|১০ || [[তড়িৎ ও চুম্বক/চুম্বকত্ব/চুম্বক]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ২৪৯
|-
|১১ || [[রন্ধনপ্রণালী:মুড়িঘন্ট]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৯১
|-
|১২ || [[রন্ধনপ্রণালী:লালমোহন]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৫৬৪
|-
|১৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:নবরত্ন কোরমা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৪৮৭
|-
|১৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:দই চিংড়ি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৪৫৮
|-
|১৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:খাসির রেজালা]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৮১
|-
|১৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:কালোজাম]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ৮২৪
|-
|১৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:মুরগির রোস্ট]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৪০২
|-
|১৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:পান্তা ভাত]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৩২৭
|-
|১৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:দই চিঁড়া]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৩৮
|-
|২০ || [[রন্ধনপ্রণালী:শুঁটকি ভর্তা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১২২
|-
|মোট পাতা:||২০||মোট শব্দ:||৮৩৭৯
|}
== [[বাবহারকারী:T. Fhyym|T. Fhyym]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|১ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/শর্তাধীন অপারেটর]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ৭১০
|-
|মোট পাতা:||১||মোট শব্দ:||৭১০
|}
== [[বাবহারকারী:Najmol Hasan|Najmol Hasan]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|মোট পাতা:||০||মোট শব্দ:||০
|}
== [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|১ || [[উইকিশৈশব:গ্ৰাফিতিতে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান/আবু সাইদ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৪৭
|-
|২ || [[উইকিশৈশব:গ্ৰাফিতিতে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৫৮
|-
|মোট পাতা:||২||মোট শব্দ:||২০৫
|}
== [[বাবহারকারী:Ajmain Istheak|Ajmain Istheak]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|১ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/সিকোয়েন্স অপারেটর]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২৩৬
|-
|২ || [[কোয়ান্টাম জগৎ/আপেক্ষিকতা/লরেন্জ সংকোচন ও সময় সম্প্রসারণ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৫১
|-
|মোট পাতা:||২||মোট শব্দ:||৪৮৭
|}
== [[বাবহারকারী:Towfik Ahmed 07|Towfik Ahmed 07]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|১ || [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/তরঙ্গ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৫২৩
|-
|মোট পাতা:||১||মোট শব্দ:||৫২৩
|}
== [[বাবহারকারী:Md Nasir Uddin Biplob|Md Nasir Uddin Biplob]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|১ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/ঘ্রাণতন্ত্র/ভূমিকা]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ১৮৩
|-
|মোট পাতা:||১||মোট শব্দ:||১৮৩
|}
== [[বাবহারকারী:Azizul Islam Abir|Azizul Islam Abir]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|১ || [[ঢেঁড়স ভাজি]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ১৬৯
|-
|২ || [[খাসির কাচ্চি বিরিয়ানি]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২২০
|-
|মোট পাতা:||২||মোট শব্দ:||৩৮৯
|}
== [[বাবহারকারী:Dr. Mosaddek Khondoker|Dr. Mosaddek Khondoker]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|১ || [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/রৈখিক গতি]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৯৯৯
|-
|মোট পাতা:||১||মোট শব্দ:||১৯৯৯
|}
== [[বাবহারকারী:Sheikh MD. Obaidul Hossain|Sheikh MD. Obaidul Hossain]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|১ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/পতঙ্গ/দৃষ্টি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১০৮৬
|-
|২ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/জেলিফিশ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৪৬৮
|-
|৩ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/দৃষ্টিতন্ত্র/পুরাতন/সংকেত প্রক্রিয়াকরণ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৭৭৩
|-
|৪ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/অব্যবহারে সংবেদী প্রক্রিয়াকরণের পরিবর্তন]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩২০০
|-
|মোট পাতা:||৪||মোট শব্দ:||৭৫২৭
|}
== [[বাবহারকারী:যুবায়ের হোসাইন কায়েফ|যুবায়ের হোসাইন কায়েফ]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|১ || [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/গ্রীক বর্ণমালা]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ৪০৪
|-
|২ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/সমীকরণের তালিকা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২০৩
|-
|৩ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/উদাহরণ/দ্বিতীয় শ্রেণীর সিস্টেম]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৩৬৩
|-
|৪ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/আবরণ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩৪
|-
|৫ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/স্নায়ুতন্ত্র/নিজের জ্ঞান যাচাইয়ের উত্তরমালা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৮২
|-
|৬ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/কোষ/নিজের জ্ঞান যাচাইয়ের উত্তরমালা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৫১
|-
|৭ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/জ্ঞানেন্দ্রিয়সমূহ/নিজের জ্ঞান যাচাইয়ের উত্তরমালা]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২৪২
|-
|৮ || [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/আবৃত্ত গতি]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ৬২
|-
|৯ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/শব্দকোষ/ড-ঢ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৭৬
|-
|১০ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/শ্বসনতন্ত্র/নিজের জ্ঞান যাচাইয়ের উত্তরমালা]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২৪৮
|-
|১১ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/পৌষ্টিকনালী ও পরিপাক/নিজের জ্ঞান যাচাইয়ের উত্তরমালা]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৩৬৮
|-
|১২ || [[তড়িৎচৌম্বকীয় বিকিরণ/গামা রশ্মি]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১২৪
|-
|১৩ || [[তড়িৎচৌম্বকীয় বিকিরণ/মাইক্রোতরঙ্গ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৯৯
|-
|১৪ || [[তড়িৎচৌম্বকীয় বিকিরণ/সম্পর্কসমূহ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১১৩
|-
|১৫ || [[তড়িৎচৌম্বকীয় বিকিরণ/দৃশ্যমান আলো]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৬৩
|-
|১৬ || [[তড়িৎচৌম্বকীয় বিকিরণ/রঞ্জন রশ্মি]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৩১
|-
|১৭ || [[মানব শারীরতত্ত্ব/অ্যাসাইনমেন্টসমূহ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৪২৫
|-
|১৮ || [[সাধারণ বলবিজ্ঞান/বেগ নির্ভর বল]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৫০৭
|-
|১৯ || [[সাধারণ বলবিজ্ঞান]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৭৬
|-
|২০ || [[সাধারণ বলবিজ্ঞান/কাজ ও ক্ষমতা]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৬৬৫
|-
|মোট পাতা:||২০||মোট শব্দ:||৪৬৩৬
|}
== [[বাবহারকারী:Somajyoti|Somajyoti]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|১ || [[তড়িতচুম্বকীয় বিকিরণ/গামা রশ্মি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১২০
|-
|২ || [[তড়িতচুম্বকীয় বিকিরণ/এক্স-রে]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৩৩
|-
|৩ || [[তড়িতচুম্বকীয় বিকিরণ/অতিবেগুনি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২২৬
|-
|৪ || [[তড়িতচুম্বকীয় বিকিরণ/দৃশ্যমান আলো]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৫৮
|-
|৫ || [[তড়িতচুম্বকীয় বিকিরণ/ইনফ্রারেড]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১২২
|-
|৬ || [[তড়িতচুম্বকীয় বিকিরণ/মাইক্রোওয়েভ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১১৯
|-
|৭ || [[তড়িতচুম্বকীয় বিকিরণ/রেডিও]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৪০১
|-
|৮ || [[তড়িতচুম্বকীয় বিকিরণ/বর্ণালীর ব্যান্ডসমূহ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৯১
|-
|৯ || [[তড়িতচুম্বকীয় বিকিরণ/সম্পর্কসমূহ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১২২
|-
|১০ || [[তড়িতচুম্বকীয় বিকিরণ/পরিমাপের এককসমূহ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩২০
|-
|১১ || [[তড়িতচুম্বকীয় বিকিরণ/ভূমিকা]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১২৪
|-
|১২ || [[তড়িতচুম্বকীয় বিকিরণ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩৫
|-
|মোট পাতা:||১২||মোট শব্দ:||২০৭১
|}
== [[বাবহারকারী:Hi.junaidofficial|Hi.junaidofficial]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|১ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/ইনডিরেকশন অপারেটর]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৮২৫
|-
|মোট পাতা:||১||মোট শব্দ:||৮২৫
|}
== [[বাবহারকারী:Md Nayed Ahmed Riaj|Md Nayed Ahmed Riaj]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|১ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিকেন ফিঙ্গার]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৮৫
|-
|২ || [[রন্ধনপ্রণালী:কই মাছের ঝোল]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২১১
|-
|৩ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/ভূমিকা]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৩৩
|-
|৪ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/শব্দকোষ/ক-ল]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৭৩
|-
|৫ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/ভয়েড ডেটা টাইপ]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২০৭
|-
|মোট পাতা:||৫||মোট শব্দ:||৭০৯
|}
== [[বাবহারকারী:Bosesukla|Bosesukla]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|১ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/হৃদযন্ত্র/হৃৎপিণ্ড]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৬২১
|-
|মোট পাতা:||১||মোট শব্দ:||১৬২১
|}
== [[বাবহারকারী:Narrative warrior|Narrative warrior]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|১ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/টেক্সট ফাইল থেকে অ্যারে লোড করা]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৪৬৯
|-
|মোট পাতা:||১||মোট শব্দ:||৪৬৯
|}
== [[বাবহারকারী:Abdur Rakib|Abdur Rakib]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|১ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/হৃদযন্ত্র/রক্ত সংবহন]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৮৫১
|-
|মোট পাতা:||১||মোট শব্দ:||১৮৫১
|}
== [[বাবহারকারী:Malihamoni|Malihamoni]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|১ || [[রন্ধনপ্রণালী:গরুর কাচ্চি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২০৯
|-
|২ || [[রন্ধনপ্রণালী:ফিশ কারি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৬৩
|-
|৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:ফিশ ফ্রাই]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৪৭
|-
|৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:ভেজ নুডলস]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৫৯
|-
|৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:বন রুটি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২১১
|-
|৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:গরুর মাংস ভুনা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২১০
|-
|৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:মালাই চপ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৬০
|-
|৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:মশুর ডাল]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৪৮
|-
|মোট পাতা:||৮||মোট শব্দ:||১৪০৭
|}
== [[বাবহারকারী:Akhlakur Rahman Adil|Akhlakur Rahman Adil]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|১ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/দৃষ্টিতন্ত্র/পুরাতন/সংবেদী অঙ্গ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৭৯৭
|-
|২ || [[রন্ধনপ্রণালী:পনির কারি]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৩১৮
|-
|৩ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/সাধারণ অরৈখিকতা]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ৩৬৩
|-
|৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিকেন বার্গার]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৭৫
|-
|মোট পাতা:||৪||মোট শব্দ:||১৭৫৩
|}
== [[বাবহারকারী:BNBOY|BNBOY]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|১ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/ডিজিটাল নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৭৫৪
|-
|মোট পাতা:||১||মোট শব্দ:||৭৫৪
|}
== [[বাবহারকারী:NeoNoman|NeoNoman]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|১ || [[তড়িৎ ও চুম্বক/চুম্বকত্ব/তড়িৎ প্রবাহে কুলম্বের সূত্র]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২২৪
|-
|২ || [[তড়িৎ ও চুম্বক/স্থির তড়িৎ/তড়িৎ বিভব]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৮৫৯
|-
|মোট পাতা:||২||মোট শব্দ:||১০৮৩
|}
== [[বাবহারকারী:Hosen MD Obayedullah|Hosen MD Obayedullah]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|মোট পাতা:||০||মোট শব্দ:||০
|}
== [[বাবহারকারী:Daiyan-2004|Daiyan-2004]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|১ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/ফর লুপ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৩২৬
|-
|মোট পাতা:||১||মোট শব্দ:||৩২৬
|}
== [[বাবহারকারী:Ishrat Jahan Tahmid|Ishrat Jahan Tahmid]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|১ || [[সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/সামাজিক আন্দোলন]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৮৭৫
|-
|২ || [[সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/সমষ্টিগত আচরণ]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৩৭৫৩
|-
|মোট পাতা:||২||মোট শব্দ:||৬৬২৮
|}
== [[বাবহারকারী:Obangmoy|Obangmoy]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|১ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/লেখক]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১২২
|-
|২ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/ভূমিকা]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৫৫৮
|-
|৩ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/সুইফট লুপ উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ২৬১
|-
|৪ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/লুপের উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ১৯
|-
|৫ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/সুইফট অ্যারে উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ২৩১
|-
|৬ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/শর্তের উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২৮৮
|-
|মোট পাতা:||৬||মোট শব্দ:||১৪৭৯
|}
== [[বাবহারকারী:MD Ashradul Islam Tasin|MD Ashradul Islam Tasin]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|১ || [[তত্ত্ব শিখন/প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষণ: প্রভাবক উপাদান]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৩৯৮
|-
|২ || [[তত্ত্ব শিখন/প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষণ: শাখাভিত্তিক অবদান]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৬৭১
|-
|৩ || [[তত্ত্ব শিখন/নির্মাণবাদী তত্ত্ব]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১১৪৬
|-
|৪ || [[তত্ত্ব শিখন/আচরণবাদী তত্ত্ব]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৪২১
|-
|৫ || [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/লগারিদম]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২৪০
|-
|৬ || [[অতীন্দ্রিয়বাদ/অতীন্দ্রিয়বাদ কি?]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৮২৮
|-
|মোট পাতা:||৬||মোট শব্দ:||৯৭০৪
|}
== [[বাবহারকারী:Sifat Hasan Adil|Sifat Hasan Adil]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|মোট পাতা:||০||মোট শব্দ:||০
|}
== [[বাবহারকারী:Waliurrahmanlimon|Waliurrahmanlimon]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|১ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/সি-শার্প পরিচিতি উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ২১১
|-
|মোট পাতা:||১||মোট শব্দ:||২১১
|}
== [[বাবহারকারী:Editobd|Editobd]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|১ || [[রন্ধনপ্রণালী:বেসনের পকোড়া]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩৮৬
|-
|২ || [[রন্ধনপ্রণালী:বেসনের চপ]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৫৮১
|-
|৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিকেন চিলি]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৪০৬
|-
|৪ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/অভিযোজিত নিয়ন্ত্রণ]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ১০৮
|-
|৫ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/আর্থ্রোপড]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ৮৯৬
|-
|৬ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ০
|-
|মোট পাতা:||৬||মোট শব্দ:||২৩৭৭
|}
== [[বাবহারকারী:Dolon Prova|Dolon Prova]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|১ || [[রন্ধনপ্রণালী:শসার রায়তা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৫০
|-
|২ || [[রন্ধনপ্রণালী:আলু বেগুনের ঝোল]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৯৭
|-
|৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:ভাপা পিঠা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৫৯
|-
|৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:বাঁধাকপি ভাজি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২০৬
|-
|৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিংড়ি ভুনা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৯৩
|-
|৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:শুঁটকি ভুনা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৫৯
|-
|মোট পাতা:||৬||মোট শব্দ:||১১৬৪
|}
== [[বাবহারকারী:Saadi095|Saadi095]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|১ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিকেন নুডলস]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৫৮
|-
|মোট পাতা:||১||মোট শব্দ:||২৫৮
|}
pd5gr6cd57q8fc019nnvkka1xlisjm5
85831
85829
2025-07-08T09:06:35Z
Maruf
8010
হালনাগাদ করা হল
85831
wikitext
text/x-wiki
{{উইকিবই লিখন প্রতিযোগিতা ২০২৫|সক্রিয়=7}}
== ফলাফল ==
{| class="wikitable sortable"
|+ এক নজরে পরিসংখ্যান
|-
! সি. !! ব্যবহারকারী !! গৃহীত নিবন্ধ সংখ্যা !! শব্দ সংখ্যা
|-
| 1 || Ei to ami akash || 24 || 22,201
|-
| 2 || MD Abu Siyam || 188 || 52,187
|-
| 3 || MS Sakib || 13 || 171,568
|-
| 4 || Asikur.rahman25 || 54 || 124,916
|-
| 5 || NusJaS || 15 || 112,184
|-
| 6 || Anisvai || 10 || 2,061
|-
| 7 || SMontaha32 || 110 || 180,118
|-
| 8 || RDasgupta2020 || 202 || 81,385
|-
| 9 || Firuz Ahmmed || 175 || 72,826
|-
| 10 || Md Mobashir Hossain || 90 || 28,670
|-
| 11 || M.Asaduzzaman sahed || 33 || 110,918
|-
| 12 || Nettime Sujata || 7 || 11,950
|-
| 13 || Md.Farhan Mahmud || 1 || 215
|-
| 14 || Salil Kumar Mukherjee || 15 || 5,278
|-
| 15 || Farihat Mahirah || 1 || 371
|-
| 16 || নিয়াজ ইসলাম || 35 || 5,646
|-
| 17 || Parishexplorer || 0 || 0
|-
| 18 || Ridnin Riz || 1 || 418
|-
| 19 || Sheikh Mehedi Hassan || 70 || 78,205
|-
| 20 || Anik Kanti Dey || 12 || 9,216
|-
| 21 || Prerana Hatua || 1 || 132
|-
| 22 || Sagar Mahmud 1122 || 5 || 1,093
|-
| 23 || রানা123 || 5 || 1,862
|-
| 24 || Thajib Hossain || 2 || 719
|-
| 25 || Yasser Raihan || 1 || 352
|-
| 26 || MD Sahib || 1 || 383
|-
| 27 || Sa'Adat-E-Zubaire || 3 || 1,740
|-
| 28 || Md Rashidul Hasan Biplob || 20 || 8,379
|-
| 29 || T. Fhyym || 1 || 710
|-
| 30 || Najmol Hasan || 0 || 0
|-
| 31 || MdsShakil || 2 || 205
|-
| 32 || Ajmain Istheak || 2 || 487
|-
| 33 || Towfik Ahmed 07 || 1 || 523
|-
| 34 || Md Nasir Uddin Biplob || 1 || 183
|-
| 35 || Azizul Islam Abir || 2 || 389
|-
| 36 || Dr. Mosaddek Khondoker || 1 || 1,999
|-
| 37 || Sheikh MD. Obaidul Hossain || 4 || 7,527
|-
| 38 || যুবায়ের হোসাইন কায়েফ || 20 || 4,636
|-
| 39 || Somajyoti || 12 || 2,071
|-
| 40 || Hi.junaidofficial || 1 || 825
|-
| 41 || Md Nayed Ahmed Riaj || 5 || 709
|-
| 42 || Bosesukla || 1 || 1,621
|-
| 43 || Narrative warrior || 1 || 469
|-
| 44 || Abdur Rakib || 1 || 1,851
|-
| 45 || Malihamoni || 8 || 1,407
|-
| 46 || Akhlakur Rahman Adil || 4 || 1,753
|-
| 47 || BNBOY || 1 || 754
|-
| 48 || NeoNoman || 2 || 1,083
|-
| 49 || Hosen MD Obayedullah || 0 || 0
|-
| 50 || Daiyan-2004 || 1 || 326
|-
| 51 || Ishrat Jahan Tahmid || 2 || 6,628
|-
| 52 || Obangmoy || 6 || 1,479
|-
| 53 || MD Ashradul Islam Tasin || 6 || 9,704
|-
| 54 || Sifat Hasan Adil || 0 || 0
|-
| 55 || Waliurrahmanlimon || 1 || 211
|-
| 56 || Editobd || 6 || 2,377
|-
| 57 || Dolon Prova || 6 || 1,164
|-
| 58 || Saadi095 || 1 || 258
|}
== [[বাবহারকারী:Ei to ami akash|Ei to ami akash]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|১ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/যুক্তিবিদ্যা/প্রকরণ যুক্তি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩৪৩
|-
|২ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/নকশা/প্রারম্ভিক অংশ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৬৮১
|-
|৩ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/নকশা/নথির বিন্যাস/সংগঠনের ধরন]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৪৬০
|-
|৪ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/নকশা/চিত্র]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৭৯৮
|-
|৫ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/নকশা/চিত্রপট]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৮৭১
|-
|৬ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/দর্শনের উদ্ভব]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৪৭৬
|-
|৭ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/যুক্তিবিদ্যা/যুক্তি ও কারণ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১০৭৮
|-
|৮ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/বৌদ্ধ দর্শন কী?]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৯৮০
|-
|৯ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/নৈতিকতা কী?]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৪৩৫
|-
|১০ || [[কোয়ান্টাম জগৎ/প্রভাব ও প্রয়োগ/শক্তি কোয়ান্টাইজড কেন]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ৩৯৩
|-
|১১ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/MIMO সিস্টেমের জন্য স্বত্বমান নির্ধারণ]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৭৭৮
|-
|১২ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/তারের অনুপ্রস্থ কম্পন]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৩৯০
|-
|১৩ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/কার্টেসীয় স্থানাঙ্কে শব্দতরঙ্গ সমাধান]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২৪৩
|-
|১৪ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/শব্দতরঙ্গ সমীকরণ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৪৩০
|-
|১৫ || [[অধ্যয়ন দক্ষতা/বিকল্প কৌশল]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৬৪১
|-
|১৬ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/সময়-ডোমেইন সমাধান]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ১৩৮
|-
|১৭ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/স্থিতিস্থাপক কঠিন পদার্থে তরঙ্গগতি]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩৪৮
|-
|১৮ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/শব্দকোষ/বই সংস্করণ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১২৮
|-
|১৯ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/শ্রেণীবিন্যাস]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৫৮৪
|-
|২০ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/রসায়নিক পদার্থ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৬১৮
|-
|২১ || [[তড়িৎ ও চুম্বক/স্থির তড়িৎ/কুলম্বের সূত্র]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৩৩৮
|-
|২২ || [[সাধারণ বলবিজ্ঞান/টর্ক ও কৌণিক ভরবেগ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৫৩৯
|-
|২৩ || [[তড়িৎ ও চুম্বক/চুম্বকত্ব/ভেক্টর গুণফল]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ১৩২
|-
|২৪ || [[সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/সংস্কৃতি]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৩৩৭৯
|-
|মোট পাতা:||২৪||মোট শব্দ:||২২২০১
|}
== [[বাবহারকারী:MD Abu Siyam|MD Abu Siyam]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|১ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/স্ট্রিং ডেটা টাইপ]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ৫১৭
|-
|২ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/শ্রবণের পরিবাহী প্রক্রিয়া]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৮০
|-
|৩ || [[ত্রিমাত্রিক মুদ্রণ/মুদ্রণ পরবর্তী প্রক্রিয়াকরণ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১০৭
|-
|৪ || [[ত্রিমাত্রিক মুদ্রণ/স্লাইসিং সফটওয়্যার]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২০৫
|-
|৫ || [[ত্রিমাত্রিক মুদ্রণ/মডেলসমূহ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২০০
|-
|৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:বড়া খিচুড়ি]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩৩৭
|-
|৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:পানতোয়া]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৮৪
|-
|৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:শাহী দাল মাখনি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩০৭
|-
|৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিকেন ড্রামস্টিক]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩০২
|-
|১০ || [[রন্ধনপ্রণালী:জিরা পানি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৬৭
|-
|১১ || [[রন্ধনপ্রণালী:জিরা পানি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৬৭
|-
|১২ || [[রন্ধনপ্রণালী:বাদাম ভর্তা]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩০০
|-
|১৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:পনির পাকোড়া]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৭৭
|-
|১৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:পাঁপড়]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৬৬
|-
|১৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:ছিটা রুটি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩৫৬
|-
|১৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিকেন দম বিরিয়ানি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩৭৪
|-
|১৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:কর্নডগ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৭৩
|-
|১৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:আচারি চিকেন]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৪৩৬
|-
|১৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:পেস্তা হালুয়া]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২২৩
|-
|২০ || [[রন্ধনপ্রণালী:হান্ডি বিফ]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৭৬
|-
|২১ || [[রন্ধনপ্রণালী:মাঠা]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৭২
|-
|২২ || [[রন্ধনপ্রণালী:মাঠা]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৭২
|-
|২৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:ব্রাউনি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৩৬
|-
|২৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:ব্রাউনি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৩৬
|-
|২৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিকেন শাসলিক]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২২৮
|-
|২৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিকেন জালি কাবাব]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৩৫
|-
|২৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:জাফরানি শরবত]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৯৭
|-
|২৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:বাদাম শরবত]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২০২
|-
|২৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:হুমুস]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৮২
|-
|৩০ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিকেন নাচোস]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২১৯
|-
|৩১ || [[রন্ধনপ্রণালী:পটেটো ওয়েজেস]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৪৩
|-
|৩২ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিকেন টিক্কা কাবাব]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৪০
|-
|৩৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিকেন বটি কাবাব]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৫০
|-
|৩৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:অনিয়ন রিংস]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২২৪
|-
|৩৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:কুনাফা চকলেট]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৭৯
|-
|৩৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:টাকো]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৬৮
|-
|৩৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:কচুপাতা ভর্তা]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৭৩
|-
|৩৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:চাল কুমড়ার মোরব্বা]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৮৮
|-
|৩৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:আমের মোরব্বা]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৯৯
|-
|৪০ || [[রন্ধনপ্রণালী:পেলকা]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৬৭
|-
|৪১ || [[রন্ধনপ্রণালী:চ্যাপা শুটকি ভর্তা]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৩৮৮
|-
|৪২ || [[রন্ধনপ্রণালী:ডোনাট]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৫৩২
|-
|৪৩ || [[কানাডায় শরনার্থী প্রক্রিয়া/ শব্দকোষ]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৩০৩
|-
|৪৪ || [[উইকিশৈশব:চলো নাইকার গুহাতে স্ফটিকীকরণ নিয়ে কথা বলি]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৩৮৯
|-
|৪৫ || [[উইকিশৈশব:চলো নাইকার গুহাতে স্ফটিকীকরণ নিয়ে কথা বলি/১২ - তরবারির গুহায় স্ফটিক গঠন]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৬১
|-
|৪৬ || [[উইকিশৈশব:চলো নাইকার গুহাতে স্ফটিকীকরণ নিয়ে কথা বলি/১ - নাইকা মেক্সিকোতে অবস্থিত]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৪৬
|-
|৪৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:ধোকলা]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৭০
|-
|৪৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:তেলি হাঁস ভুনা]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২২৮
|-
|৪৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:মুড়ি সন্দেশ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৫৮
|-
|৫০ || [[রন্ধনপ্রণালী:খেজুরের ক্ষীর]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২২৭
|-
|৫১ || [[রন্ধনপ্রণালী:গরুর মাংসের ঝুরি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩২০
|-
|৫২ || [[রন্ধনপ্রণালী:মাছের দো পোয়া]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৬৫
|-
|৫৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:ফাফড়া]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৬৮
|-
|৫৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:মোচার ঘন্ট]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৬০
|-
|৫৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:ঘিয়ের মোয়া]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৫৪
|-
|৫৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:কাঁঠালের বিচির ঘন্ট]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২১২
|-
|৫৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:কাঁঠালের বিচির ঘন্ট]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২১২
|-
|৫৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:ক্ষীরশাপটা]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৩৬
|-
|৫৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:ক্ষীরশাপটা]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৩৬
|-
|৬০ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিংড়ি নারকেল ঝোল]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৪৭
|-
|৬১ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিংড়ি নারকেল ঝোল]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৪৭
|-
|৬২ || [[রন্ধনপ্রণালী:ধনেপাতার মুরগী]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৫৪
|-
|৬৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:ধনেপাতার মুরগী]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৫৪
|-
|৬৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:মেওয়া লাড্ডু]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২০৭
|-
|৬৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:আলুর বড়া]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৭৬
|-
|৬৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:ইলিশের খোসার ঝোল]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩০৬
|-
|৬৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:লাউ ভাজা]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২১১
|-
|৬৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:ডিমের টমেটো কারি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৫৫
|-
|৬৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিড়ার কাবাব]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২২৪
|-
|৭০ || [[রন্ধনপ্রণালী:চালতার আচার]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২২৪
|-
|৭১ || [[রন্ধনপ্রণালী:বুটের শিরনী]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৭৩
|-
|৭২ || [[রন্ধনপ্রণালী:লাউ খোয়া]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৬৩
|-
|৭৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:পুঁটিমাছ ভুনা]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৫৮
|-
|৭৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:মেজবানি মাংস]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৯১
|-
|৭৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:তান্দুরি রুটি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৭১
|-
|৭৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:বিফ চাপ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩১০
|-
|৭৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:ছানার দম পনির]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৯৭
|-
|৭৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:নবাবি কচুরি]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৩৫৫
|-
|৭৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিকেন দোপেয়াজা]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৩৬৩
|-
|৮০ || [[রন্ধনপ্রণালী:মালাই কোফতা]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৩৭৩
|-
|৮১ || [[রন্ধনপ্রণালী:পনির বাটার মসলা]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৩৬৩
|-
|৮২ || [[রন্ধনপ্রণালী:চুইঝাল চিংড়ি]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৩৩০
|-
|৮৩ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/অ্যাপ্লিকেশন ওয়েবসাইটসমূহ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৫২
|-
|৮৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:পটলের চপ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৯৬
|-
|৮৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:চালকুমড়ার বড়া]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৬৮
|-
|৮৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:চকলেট মিল্কশেক]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২২০
|-
|৮৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:শুটকি চচ্চড়ি]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৮৮
|-
|৮৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:শুটকি চচ্চড়ি]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৮৮
|-
|৮৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:সবজি পাকোড়া]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৭৯
|-
|৯০ || [[রন্ধনপ্রণালী:মুগডালের হালুয়া]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৯৪
|-
|৯১ || [[রন্ধনপ্রণালী:বাঁধাকপির ঘন্ট]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৬৯
|-
|৯২ || [[রন্ধনপ্রণালী:পোড়া বেগুন ভর্তা]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৬৬
|-
|৯৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিকেন নাগা কারি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩০০
|-
|৯৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:স্ট্রবেরি মিল্কশেক]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৭৯
|-
|৯৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:স্ট্রবেরি লাচ্ছি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৯৬
|-
|৯৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:ম্যাংগো মিল্কশেক]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৮৬
|-
|৯৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:তেঁতুলের চাটনি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২১০
|-
|৯৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:পুদিনা চাটনি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২২৪
|-
|৯৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:বাদাম পুলি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৭২
|-
|১০০ || [[রন্ধনপ্রণালী:সরষে পাবদা]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩১৯
|-
|১০১ || [[রন্ধনপ্রণালী:রসকদম্ব]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩২১
|-
|১০২ || [[রন্ধনপ্রণালী:কাঁচকলার কোপ্তা]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩১০
|-
|১০৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:সজনে ডাল]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২১৩
|-
|১০৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:ম্যাংগো লাচ্ছি]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২৪৯
|-
|১০৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিংড়ি ভর্তা]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২৪০
|-
|১০৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:সাগুর পায়েস]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২৬৩
|-
|১০৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:মুরগির পাকোড়া]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২৭৯
|-
|১০৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিকেন পপকর্ন]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৩০০
|-
|১০৯ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/লজিক্যাল অপারেটর]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৪৩৫
|-
|১১০ || [[রন্ধনপ্রণালী:মাংসের আচার]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৩৩৬
|-
|১১১ || [[রন্ধনপ্রণালী:রামেন]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২৭০
|-
|১১২ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিঁড়ের পায়েস]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৫২
|-
|১১৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:শিমের ডালনা]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২৭১
|-
|১১৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিকেন স্যুপ]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২৯০
|-
|১১৫ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/সাইজঅফ অপারেটর]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৩১১
|-
|১১৬ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/সফটওয়্যার টেস্টিং]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৫৭৯
|-
|১১৭ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/রিলেশনাল অপারেটর]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৯৭
|-
|১১৮ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/প্রোগ্রাম ডিজাইন]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৫৯৯
|-
|১১৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:বালাচাও]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ৩৩৫
|-
|১২০ || [[রন্ধনপ্রণালী:টমেটো খাট্টা]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২৮১
|-
|১২১ || [[রন্ধনপ্রণালী:মধুভাত]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২৮৯
|-
|১২২ || [[রন্ধনপ্রণালী:ফুলকপির ধোকা]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৩৩৬
|-
|১২৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:ছানার ডালনা]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২৯৬
|-
|১২৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:রেজালা]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ৩০৩
|-
|১২৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:মোঘলাই কোরমা]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৮৭
|-
|১২৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:পটলের কোপ্তা]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৪৪১
|-
|১২৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:কাঁচামিষ্টি আমদই]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২২০
|-
|১২৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:সাতকরা গরুর মাংস]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২২৯
|-
|১২৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:শাহী টুকরা]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ৩৪৫
|-
|১৩০ || [[রন্ধনপ্রণালী:শাহী দুধ সেমাই]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ৩১৫
|-
|১৩১ || [[রন্ধনপ্রণালী:চীজকেক]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৬০
|-
|১৩২ || [[রন্ধনপ্রণালী:আলু পনির]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৩৮
|-
|১৩৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:রাবড়ি]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৮৫
|-
|১৩৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:ছানার বরফি]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৭২
|-
|১৩৫ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/সুইফট অবজেক্ট উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ২৯৮
|-
|১৩৬ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/সুইফট পরিচিতি উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ২০২
|-
|১৩৭ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/জাভাস্ক্রিপ্ট পরিচিতি উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ৩৫২
|-
|১৩৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:ছোলে ভাটুরে]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৯৯
|-
|১৩৯ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/লেখকবৃন্দ]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ৩৬
|-
|১৪০ || [[রন্ধনপ্রণালী:খাসির চাপ]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৬৭
|-
|১৪১ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/প্রোগ্রামিং পরিচিতি]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ১৯২
|-
|১৪২ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/পাইথন পরিচিতি উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ২১৩
|-
|১৪৩ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/ডেটা ম্যানিপুলেশন]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ৫৭৭
|-
|১৪৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:প্যানকেক]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৪৫
|-
|১৪৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:সুজির টোস্ট]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৬৪
|-
|১৪৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:দই চাট]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২১৪
|-
|১৪৭ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/সূচীপত্র]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১০৩৫
|-
|১৪৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:আচারি বিফ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩৫১
|-
|১৪৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:দই কাতলা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩৫২
|-
|১৫০ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিড়ার সরবত]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩৩১
|-
|১৫১ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিড়ার সরবত]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩৩১
|-
|১৫২ || [[রন্ধনপ্রণালী:ঘুগনি]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩৭৪
|-
|১৫৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:ঘুগনি]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩৭৪
|-
|১৫৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:ঘোল]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩০৯
|-
|১৫৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিকেন শর্মা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৯২
|-
|১৫৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিকেন শর্মা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৯২
|-
|১৫৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:ফিশ কাটলেট]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৬৪
|-
|১৫৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:জর্দা সেমাই]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৭৩
|-
|১৫৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:গরুর পায়া]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৩৬৮
|-
|১৬০ || [[রন্ধনপ্রণালী:তিলের নাড়ু]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২৫৪
|-
|১৬১ || [[রন্ধনপ্রণালী:নারকেলের নাড়ু]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৪৬
|-
|১৬২ || [[রন্ধনপ্রণালী:মুরগির কোরমা]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২৯৩
|-
|১৬৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিকেন ললিপপ]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২৪১
|-
|১৬৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:কলিজা ভুনা]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২৬১
|-
|১৬৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:কলিজা সিঙ্গারা]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৩৩৮
|-
|১৬৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:মলিদা]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২১৮
|-
|১৬৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:আলু পরোটা]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২৫৭
|-
|১৬৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:ডিম পরোটা]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২৬৮
|-
|১৬৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:বাটার নান]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৩৩০
|-
|১৭০ || [[রন্ধনপ্রণালী:দুধ চিতই]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৩২১
|-
|১৭১ || [[রন্ধনপ্রণালী:দুধ পুলি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৩৫
|-
|১৭২ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিংড়ির ভর্তা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৬৫
|-
|১৭৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:মশলা চা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২১৬
|-
|১৭৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:আদা চা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৩৮
|-
|১৭৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:লেবু চা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৪৫
|-
|১৭৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:বেলপুরি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৪২২
|-
|১৭৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:ছানার পায়েস]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৪৫৫
|-
|১৭৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:ফ্রায়েড রাইস]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২১৬
|-
|১৭৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:বিফ স্টেক]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৯৫
|-
|১৮০ || [[রন্ধনপ্রণালী:ডিম টোস্ট]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১০৯
|-
|১৮১ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/অ্যাসাইনমেন্ট বনাম সমতা]] || [[বাবহারকারী:Maruf|Maruf]] || ৩৮৮
|-
|১৮২ || [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/বিষয়সমূহ]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ১৪৯
|-
|১৮৩ || [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/লেখক]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৮
|-
|১৮৪ || [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৯২
|-
|১৮৫ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/ডেটা এবং অপারেটর]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৫২
|-
|১৮৬ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/সি++ সংরক্ষিত কীওয়ার্ড]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২৪৪
|-
|১৮৭ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/বুলিয়ান ডেটা টাইপ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৩৩০
|-
|১৮৮ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/অ্যাসাইনমেন্ট]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২৬২
|-
|মোট পাতা:||১৮৮||মোট শব্দ:||৫২১৮৭
|}
== [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|১ || [[জাপানের ইতিহাস: পুরাণ থেকে জাতিসত্ত্বা]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৪৯২
|-
|২ || [[জাপানের ইতিহাস: পুরাণ থেকে জাতিসত্ত্বা/আসুকা যুগ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৮৩৮৩
|-
|৩ || [[সবকিছুর জন্যেই ইন্টারনেট?/নজরদারি ও প্রতিনজরদারি]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২০৫৬৫
|-
|৪ || [[সবকিছুর জন্যেই ইন্টারনেট?/ডিজিটাল যুগে ব্যক্তিগত ও জনপরিসর]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৮৯৫৫
|-
|৫ || [[সবকিছুর জন্যেই ইন্টারনেট?]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৪৬১
|-
|৬ || [[সবকিছুর জন্যেই ইন্টারনেট?/প্রযুক্তিগত ও সাংস্কৃতিক নির্ধারণবাদ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৩৭০৩
|-
|৭ || [[কানাডায় শরনার্থী প্রক্রিয়া/স্বাধীন সিদ্ধান্তগ্রহণকারীর অধিকার]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ৫২৫১
|-
|৮ || [[কানাডায় শরনার্থী প্রক্রিয়া/শরণার্থী প্রক্রিয়া ব্যাখ্যার নীতিমালা]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ১৭৩৪৩
|-
|৯ || [[কানাডায় শরনার্থী প্রক্রিয়া/বোর্ডের অনুসন্ধানমূলক দায়িত্ব]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ৬৮৮৬
|-
|১০ || [[কানাডায় শরনার্থী প্রক্রিয়া/পক্ষপাতহীন সিদ্ধান্তগ্রহণকারীর অধিকার]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ৫২৬৯
|-
|১১ || [[কানাডায় শরনার্থী প্রক্রিয়া/ন্যায্য শুনানির অধিকার]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২১৪৮৪
|-
|১২ || [[কানাডায় শরনার্থী প্রক্রিয়া/কানাডায় শরণার্থী প্রক্রিয়ার ইতিহাস]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২০৮৮৪
|-
|১৩ || [[কানাডায় শরনার্থী প্রক্রিয়া]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৮৯২
|-
|মোট পাতা:||১৩||মোট শব্দ:||১৭১৫৬৮
|}
== [[বাবহারকারী:Asikur.rahman25|Asikur.rahman25]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|১ || [[রাজনৈতিক যোগাযোগের উপাদান/প্রচলিত মিডিয়া নির্দেশিকা/মতামত কলাম ও সম্পাদককে চিঠি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৮১৩
|-
|২ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/কক্ষে তড়িৎ-শব্দীয় স্থাপনাসমূহ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৯০২
|-
|৩ || [[জাপানের ইতিহাস: পুরাণ থেকে জাতিসত্ত্বা/আজুচি–মোমোয়ামা যুগ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৬০৫
|-
|৪ || [[জাপানের ইতিহাস: পুরাণ থেকে জাতিসত্ত্বা/মুরোমাচি যুগ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৫৪৭
|-
|৫ || [[জাপানের ইতিহাস: পুরাণ থেকে জাতিসত্ত্বা/কামাকুরা যুগ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৭০০
|-
|৬ || [[জাপানের ইতিহাস: পুরাণ থেকে জাতিসত্ত্বা/জোমন যুগ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১২৭৮
|-
|৭ || [[জাপানের ইতিহাস: পুরাণ থেকে জাতিসত্ত্বা/সংঘর্ষকালীন রাজ্য যুগ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২০৮৯
|-
|৮ || [[জাপানের ইতিহাস: পুরাণ থেকে জাতিসত্ত্বা/সংঘর্ষকালীন রাজ্য যুগ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২০৮৯
|-
|৯ || [[জাপানের ইতিহাস: পুরাণ থেকে জাতিসত্ত্বা/জাপানে মার্কিন দখল]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩১৮৪
|-
|১০ || [[জাপানের ইতিহাস: পুরাণ থেকে জাতিসত্ত্বা/বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী জাপান]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২১৬৪
|-
|১১ || [[জাপানের ইতিহাস: পুরাণ থেকে জাতিসত্ত্বা/তাইশো যুগ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৩৭৬
|-
|১২ || [[সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/লিঙ্গ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৩২৫৯
|-
|১৩ || [[সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/সমাজ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২৯২২
|-
|১৪ || [[মানব শারীরতত্ত্ব/জিনতত্ত্ব ও বংশগতি]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৬১৮০
|-
|১৫ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/প্রজনন তন্ত্র]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৪৫৪৫
|-
|১৬ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/অন্তঃক্ষরা তন্ত্র]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৫৪৪৯
|-
|১৭ || [[জাপানের ইতিহাস: পুরাণ থেকে জাতিসত্ত্বা/গ্রন্থপঞ্জি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২০৬৭
|-
|১৮ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/পৌষ্টিকনালী ও পরিপাক]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৩৮৩৫
|-
|১৯ || [[সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/জনসংখ্যাতত্ত্ব]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩৩৮০
|-
|২০ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/স্নায়ুতন্ত্র]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২৮২৫
|-
|২১ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/জ্ঞানেন্দ্রিয়সমূহ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৩২১৭
|-
|২২ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/দৃষ্টি সংকেত প্রক্রিয়াকরণ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৫৭৬৯
|-
|২৩ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/মানব স্বররজ্জু/উৎস-ফিল্টার তত্ত্ব]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৪৪৮
|-
|২৪ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/ভারসাম্যতন্ত্রের সংকেত প্রক্রিয়াকরণ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৪৪৪
|-
|২৫ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/ইরান]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩০০১
|-
|২৬ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/ উদ্দীপনাময় বিংশ শতাব্দী এবং নিষেধাজ্ঞা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৫৪১৭
|-
|২৭ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/ট্রুম্যান এবং স্নায়ু যুদ্ধ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৬০৬
|-
|২৮ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/রাজনৈতিক দর্শন কী?]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৯৪৮
|-
|২৯ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/অতিভৌতিকতা কী?]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১০৯৫
|-
|৩০ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/সুবিধাবাদ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৮৬৬
|-
|৩১ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/ব্যক্তি কী?]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ২৪৬৩
|-
|৩২ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/বিস্ফোরণ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৭০১
|-
|৩৩ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের শব্দবিজ্ঞানগত চ্যালেঞ্জ]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ১২১৬
|-
|৩৪ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/পতঙ্গ/দিকনির্ণয়]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৫৮১
|-
|৩৫ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/বর্ণ প্রত্যক্ষণ]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ২১৪৪
|-
|৩৬ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/মাকড়সা]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৩৯৩২
|-
|৩৭ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/প্রতিবেদন/পরিকল্পনা]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ১২৩৫
|-
|৩৮ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/জৈবচিকিৎসীয় আলট্রাসাউন্ড]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ১৮৩৬
|-
|৩৯ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/অক্টোপাস]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৬৯৭
|-
|৪০ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/মূত্রতন্ত্র]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৩০৪৭
|-
|৪১ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/ত্বক]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২৬১২
|-
|৪২ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/শ্বসনতন্ত্র]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ২১২১
|-
|৪৩ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/কোষ]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৩২৩১
|-
|৪৪ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/ফ্লোচার্ট]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৮৮৪
|-
|৪৫ || [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/তাপগতিবিদ্যা]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ৭৮০
|-
|৪৬ || [[তত্ত্ব শিখন/প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষণ: অনুশীলন]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৯০৬
|-
|৪৭ || [[সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/পরিবার]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৫৫২৫
|-
|৪৮ || [[সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/দৈনন্দিন জীবন/প্রযুক্তি/টেলিভিশন]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৫৬৪
|-
|৪৯ || [[সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/দৈনন্দিন জীবন/প্রযুক্তি/টেলিভিশন]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৫৬৪
|-
|৫০ || [[সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/শিক্ষা]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২৩৯৬
|-
|৫১ || [[রন্ধনপ্রণালী:নানরুটি]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৪৪
|-
|৫২ || [[রন্ধনপ্রণালী:ছোলার ডাল]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ১৭৭
|-
|৫৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:বাকরখানি]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৭০
|-
|৫৪ || [[অতীন্দ্রিয়বাদ/বিশ্বাস ও মস্তিষ্ক নিয়ে গবেষণা]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ১৭৭০
|-
|মোট পাতা:||৫৪||মোট শব্দ:||১২৪৯১৬
|}
== [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|১ || [[মানব শারীরতত্ত্ব/অন্তঃক্ষরা গ্রন্থিতন্ত্র]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ৭০৩৭
|-
|২ || [[জাপানের ইতিহাস: পুরাণ থেকে জাতিসত্ত্বা/মধ্য হেইয়ান যুগ]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ৯৫৬৫
|-
|৩ || [[জাপানের ইতিহাস: পুরাণ থেকে জাতিসত্ত্বা/ইয়াইয়োই যুগ]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ১০৭৪০
|-
|৪ || [[জাপানের ইতিহাস: পুরাণ থেকে জাতিসত্ত্বা/আধুনিক জাপান]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৪০৮৪
|-
|৫ || [[চিন্তন ও নির্দেশনা/সহযোগিতামূলক এবং অনুসন্ধানভিত্তিক শিখন]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৩৯৯৩
|-
|৬ || [[চিন্তন ও নির্দেশনা/শেখার জন্য প্রযুক্তি ও নকশা]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ৭৪৫৫
|-
|৭ || [[চিন্তন ও নির্দেশনা/শিখন ও স্মৃতি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৯৩৪৩
|-
|৮ || [[চিন্তন ও নির্দেশনা/মেটাকগনিশন ও স্ব-নিয়ন্ত্রিত শেখা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৫৯৪৫
|-
|৯ || [[চিন্তন ও নির্দেশনা/পড়তে শেখা]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ৭৩৩৫
|-
|১০ || [[চিন্তন ও নির্দেশনা/দীর্ঘমেয়াদী স্মৃতি]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ৫১০১
|-
|১১ || [[চিন্তন ও নির্দেশনা/গণিত শেখা]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৮৩৩৫
|-
|১২ || [[মানব শারীরতত্ত্ব/রেচনতন্ত্র]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ৫৭৫৩
|-
|১৩ || [[চিন্তন ও নির্দেশনা/এনকোডিং ও পুনরুদ্ধার]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২২৬২
|-
|১৪ || [[মানব শারীরতত্ত্ব/গর্ভধারণ ও সন্তান প্রসব]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ৮২৭২
|-
|১৫ || [[চিন্তন ও নির্দেশনা/সাংবদ্ধ মনোবিজ্ঞানের উৎপত্তি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৬৯৬৪
|-
|মোট পাতা:||১৫||মোট শব্দ:||১১২১৮৪
|}
== [[বাবহারকারী:Anisvai|Anisvai]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|১ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/কর্তব্যবাদ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৩৫
|-
|২ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/প্রয়োগবাদ]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২৪৭
|-
|৩ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/উৎস নথিভুক্তকরণ/তথ্যসূত্র]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৬৭
|-
|৪ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/পরিণামবাদ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩৫৪
|-
|৫ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/চেতনা বিষয়ক দর্শন]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩৯১
|-
|৬ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/সামাজিক চুক্তি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৫৭
|-
|৭ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/যুক্তিবিদ্যা/জটিল সূত্র নির্মাণ]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ১০৮
|-
|৮ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/অভিজ্ঞতাবাদ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১০১
|-
|৯ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/প্রাচীন রাজনৈতিক দর্শন]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৩৪
|-
|১০ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/সৌন্দর্যবোধ]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ১৬৭
|-
|মোট পাতা:||১০||মোট শব্দ:||২০৬১
|}
== [[বাবহারকারী:SMontaha32|SMontaha32]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|১ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/কম্পিউটার মডেল/ভারসাম্যতন্ত্র সিমুলেশন]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১০৭৩
|-
|২ || [[চিন্তন ও নির্দেশনা/বিজ্ঞান শিখন ও ধারণাগত পরিবর্তন]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৪৭৪২
|-
|৩ || [[জাপানের ইতিহাস: পুরাণ থেকে জাতিসত্ত্বা/জাপানে বৌদ্ধধর্ম]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৭০৫১
|-
|৪ || [[জাপানের ইতিহাস: পুরাণ থেকে জাতিসত্ত্বা/প্রারম্ভিক হেইয়ান যুগ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৯২০৭
|-
|৫ || [[জাপানের ইতিহাস: পুরাণ থেকে জাতিসত্ত্বা/কোফুন যুগ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১১৬০৫
|-
|৬ || [[জাপানের ইতিহাস: পুরাণ থেকে জাতিসত্ত্বা/অবসানকালীন হেইয়ান যুগ]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৬৭৫
|-
|৭ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/মানব স্বররজ্জু]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৯০৬
|-
|৮ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/দৃষ্টিতন্ত্র]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১১২১৬
|-
|৯ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/ওবামা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২২২১
|-
|১০ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/ডব্লিউ. বুশ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩৪৯২
|-
|১১ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/নির্দেশাবলি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৬৪২
|-
|১২ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/নকশা/শেষাংশ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১০২৯
|-
|১৩ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/নকশা]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১০০৫
|-
|১৪ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/ধর্মতত্ত্ব]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৯৪৯
|-
|১৫ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/যুক্তিবিদ্যা/বাক্যযুক্তির আরও আনুষ্ঠানিক দৃষ্টিভঙ্গি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৯০৫
|-
|১৬ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/ব্যবসায়িক যোগাযোগ/চিঠি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৭৬৯
|-
|১৭ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/ব্যবসায়িক যোগাযোগ/ওয়েবসাইট]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৯৮০
|-
|১৮ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/প্রকল্প ব্যবস্থাপনা/দলসমূহ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৬২১
|-
|১৯ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/অলঙ্করণ/অনুমান]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৮২২
|-
|২০ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/ব্যবসায়িক যোগাযোগ/মেমো]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১২৭১
|-
|২১ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/প্রস্তাবনা]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৭৭৯
|-
|২২ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/সম্ভাব্যতা]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৭৬৭
|-
|২৩ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/উপস্থাপনা]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩৪১৯
|-
|২৪ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/নৈতিকতা/সংস্কৃতি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৩০৪
|-
|২৫ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/নকশা/ব্যবহারযোগ্যতা]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ১৩০৯
|-
|২৬ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/পেশা/জীবনবৃত্তান্ত]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ২৫৩১
|-
|২৭ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/পেশা/কাভার লেটার]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২১৭২
|-
|২৮ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/পেশা]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৭৯৮
|-
|২৯ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/প্রকল্প ব্যবস্থাপনা]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ৭৬৭
|-
|৩০ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/পেশাদার লেখনী সম্বন্ধে]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ৫২৯
|-
|৩১ || [[সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/সাধারণ সমাজতাত্ত্বিক তত্ত্ব]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৫১
|-
|৩২ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/বাদুড় ও ডলফিনের ইকোলোকেশন]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৫৭৭
|-
|৩৩ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/চলন্ত কয়েল লাউডস্পিকার]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৫৯৮
|-
|৩৪ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/আলট্রাসনিক মাধ্যমের জন্য নতুন শব্দ ফিল্টার]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৪৮১
|-
|৩৫ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/ডিজিটাল নিয়ন্ত্রণের ভূমিকা]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৩৭০
|-
|৩৬ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/পোল ও জিরো]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৭০২
|-
|৩৭ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/স্টেট-স্পেস স্থিতিশীলতা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৮১৬
|-
|৩৮ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/সিস্টেম শনাক্তকরণ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১০৮১
|-
|৩৯ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/সিস্টেম মেট্রিক্স]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৫৩৪
|-
|৪০ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/স্টেট-স্পেস সমীকরণ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৪৫৬
|-
|৪১ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/পিজোইলেকট্রিক ট্রান্সডিউসার]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৬৫৯
|-
|৪২ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/স্ব-সমন্বয়ী হেলমহোল্টজ অনুরণকের সাহায্যে কোলাহল নিয়ন্ত্রণ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১১৬৫
|-
|৪৩ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/কম্পিউটার মডেল/শ্রবণতন্ত্র সিমুলেশন]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৩৪৯৩
|-
|৪৪ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/সময় ভেদে পরিবর্তনশীল সিস্টেম সমাধান]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৮৩৮
|-
|৪৫ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/রাষ্ট্রপতিরা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২১৬১
|-
|৪৬ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/ভারসাম্যতন্ত্রের অঙ্গসংস্থান]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৭৪২
|-
|৪৭ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/অন্যান্য প্রাণী]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩০৪৬
|-
|৪৮ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/বিপ্লবের পথে]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৪৪৭৬
|-
|৪৯ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/আইজেনহাওয়ার নাগরিক অধিকার পঞ্চাশের দশক]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৩৯৩৪
|-
|৫০ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/স্নায়ুসংবেদী ইমপ্লান্ট]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৫১৫৫
|-
|৫১ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/প্রাক-কলম্বীয়]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৪১৯
|-
|৫২ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/আবিষ্কারের যুগ ও গিল্ডেড যুগ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩২৫৯
|-
|৫৩ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/স্প্যানিশ গৃহযুদ্ধ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৪৪০
|-
|৫৪ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/সংবিধানের প্রাথমিক বছরগুলি]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৭৭৯
|-
|৫৫ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/পুনর্গঠন]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৩৯০৩
|-
|৫৬ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/ইংরেজ উপনিবেশ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩৬৫২
|-
|৫৭ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/সামুদ্রিক প্রাণী]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৮৪২
|-
|৫৮ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/ভারসাম্যতন্ত্র]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১২৫৩
|-
|৫৯ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/স্নায়ুসংবেদী ইমপ্লান্ট/ভবিষ্যতের দিকনির্দেশনা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৪২৮
|-
|৬০ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/কম্পিউটার মডেল/স্নায়বিক সিমুলেশন]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৪৪৬২
|-
|৬১ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/বোডি চিত্র]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ১০৪০
|-
|৬২ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/ফিল্টার ডিজাইন ও বাস্তবায়ন]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৯২৭
|-
|৬৩ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/পতঙ্গ/হ্যালটেরেস]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৫৯৮
|-
|৬৪ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/বহুসংবেদী একত্রীকরণ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৬৯১
|-
|৬৫ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/পাখি/চৌম্বক উপলব্ধি]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩৫৭৯
|-
|৬৬ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/কম্পিউটার মডেল/ঘ্রাণতন্ত্র সিমুলেশন]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৪৭২
|-
|৬৭ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/দৃষ্টিতন্ত্র/দৃষ্টিতন্ত্রের আন্তঃপ্রজাতি তুলনা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৪২৭
|-
|৬৮ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/হাঙ্গর]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২০৭৪
|-
|৬৯ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/অ-প্রাইমেট পাখির গান]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৭৯৯
|-
|৭০ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/স্নায়ুসংবেদী ইমপ্লান্ট/কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৪৩১
|-
|৭১ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/কম্পিউটার মডেল/বাক্ প্রত্যক্ষণ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৮৩২
|-
|৭২ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/ব্যথার শারীরবিদ্যা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৯৩৩
|-
|৭৩ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/দেহসংবেদী তন্ত্রে স্পর্শলোম]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৫৩০
|-
|৭৪ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/অন্যান্য প্রাণী/ইকোলোকেশনকারী দাঁতযুক্ত তিমি]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৭০৫
|-
|৭৫ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/দৃষ্টিতন্ত্র/ইন ভিভো ইমেজিং]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৯৮০
|-
|৭৬ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/দৃষ্টিতন্ত্র/পুরাতন/সংবেদী অঙ্গের উপাদান]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৮৬৪
|-
|৭৭ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/স্নায়ুসংবেদী ইমপ্লান্ট/ভবিষ্যতের দিকনির্দেশনা/অপটোজেনেটিক্স]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৯১৫
|-
|৭৮ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/স্নায়ুসংবেদী ইমপ্লান্ট/ভেস্টিবুলার ইমপ্লান্ট]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৫৪৭
|-
|৭৯ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/স্নায়ুসংবেদী ইমপ্লান্ট/ভেস্টিবুলার ইমপ্লান্ট]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৫৪৭
|-
|৮০ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/স্নায়ুসংবেদী ইমপ্লান্ট/রেটিনাল ইমপ্লান্ট]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৩৯৭০
|-
|৮১ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/লসিকা তন্ত্র]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৮৩৩
|-
|৮২ || [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/লম্ব বল ও ঘর্ষণ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৭৫৪
|-
|৮৩ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/শব্দকোষ/গ-ঘ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৮১
|-
|৮৪ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/শব্দকোষ/থ-ধ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৯৮
|-
|৮৫ || [[সাধারণ বলবিজ্ঞান/নিয়ন্ত্রিত গতি]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৬০৮
|-
|৮৬ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/শব্দকোষ/ক-খ]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৮১
|-
|৮৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:মাছের টিক্কি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৩০
|-
|৮৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:রস পিঠা]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২২৩
|-
|৮৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:কুমড়ো ঘন্ট]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২১২
|-
|৯০ || [[রন্ধনপ্রণালী:আমের টক]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৫৬
|-
|৯১ || [[রন্ধনপ্রণালী:মিষ্টি পুলি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৮৩
|-
|৯২ || [[রন্ধনপ্রণালী:গোমাংস ভুনা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২০৩
|-
|৯৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:সবজি নুডলস]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২১০
|-
|৯৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:মাংসের চচ্চড়ি]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২১১
|-
|৯৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:বিফ স্যুপ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৯৫
|-
|৯৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:লাল সেমাই]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৯৮
|-
|৯৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:কোরমা খিচুড়ি]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৭৭
|-
|৯৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:পাবদা মাছের ঝোল]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২০৭
|-
|৯৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:গরুর রেজালা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৯৪
|-
|১০০ || [[রন্ধনপ্রণালী:মুরগির কাটলেট]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৬৭
|-
|১০১ || [[রন্ধনপ্রণালী:চাপাটি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৯১
|-
|১০২ || [[রন্ধনপ্রণালী:বিফ কালিয়া]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৬৩
|-
|১০৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:মুরগি ভুনা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৩৪
|-
|১০৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিকেন কারি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৫৩
|-
|১০৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:নান রুটি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৬৮
|-
|১০৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:বুটের বড়া]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৪৪
|-
|১০৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:মুগডালের বড়া]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৩৬
|-
|১০৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:মুরগির কোপ্তা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩১৯
|-
|১০৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:শসা ভর্তা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৮২
|-
|১১০ || [[রন্ধনপ্রণালী:মটর ডাল]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২১৮
|-
|মোট পাতা:||১১০||মোট শব্দ:||১৮০১১৮
|}
== [[বাবহারকারী:RDasgupta2020|RDasgupta2020]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|১ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/MIMO সিস্টেম]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১০৫০
|-
|২ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/ম্যাট্রিক্স অপারেশন]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১২৩৫
|-
|৩ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/ওপেন সোর্স টুল/সাইল্যাব]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৭০৮
|-
|৪ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/বাস্তবায়ন]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৪৮৭
|-
|৫ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/সিস্টেম বিলম্ব]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৯৩৪
|-
|৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:চাল পটল]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৪৪
|-
|৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:সর্ষে ফুলের বড়া]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৮১
|-
|৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:দুধ মুগ পটল]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৪২
|-
|৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:গন্ধরাজ পটল]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২০৭
|-
|১০ || [[রন্ধনপ্রণালী:হিং-এর কচুরি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৬৫
|-
|১১ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিংড়ি মাছের বিরিয়ানি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৩৭
|-
|১২ || [[রন্ধনপ্রণালী:পমফ্রেট সর্ষে পোস্ত]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৫৫
|-
|১৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:কুমড়োর বড়া]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২০২
|-
|১৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:বকফুলের বড়া]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৩৯
|-
|১৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিচিঙ্গা ভর্তা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৩১
|-
|১৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিংড়ির পুরভরা বেগুনভাজা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৪৭
|-
|১৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:রুই মাছ ভুনা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৭২
|-
|১৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:মোচার পুর দিয়ে পাটিসাপটা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৪১২
|-
|১৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:মালাই পাবদা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৩৪
|-
|২০ || [[রন্ধনপ্রণালী:গন্ধরাজ ঘোল পোলাও]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৪১৪
|-
|২১ || [[রন্ধনপ্রণালী:গন্ধরাজ ভাপা মাছ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৪১৪
|-
|২২ || [[রন্ধনপ্রণালী:কাঁচা আমের চিলি চিকেন]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৪৯
|-
|২৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:তিল পটল]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৫৬
|-
|২৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:পোস্ত দিয়ে পাঁঠার মাংস]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৯৮
|-
|২৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:ডিম বেগুনের ভর্তা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৯০
|-
|২৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:মুলো ছেঁচকি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৫৮
|-
|২৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:লাউ ছেঁচকি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৭২
|-
|২৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:লেবুর কাজি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২১৭
|-
|২৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:ডাবের জল আর শাঁস দিয়ে পুডিং]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৪২
|-
|৩০ || [[রন্ধনপ্রণালী:কাঁচা আম দিয়ে পনির ভাপা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৫১
|-
|৩১ || [[রন্ধনপ্রণালী:তেঁতুলের শরবত]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৭০
|-
|৩২ || [[রন্ধনপ্রণালী:বেলের পানার শরবত]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৬৬
|-
|৩৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:পুর ভরা ঝিঙে]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৭৪
|-
|৩৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:পোস্তর বাটিচচ্চড়ি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৫৮
|-
|৩৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:ইলিশের একচড়া]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩১৭
|-
|৩৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:মুলোর ঘণ্ট]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৩৫
|-
|৩৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:কমলালেবু দিয়ে কই মাছ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৪০২
|-
|৩৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:সজনে ডাঁটার পোড়া ভর্তা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৭৮
|-
|৩৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:ছানার চচ্চড়ি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৫৬
|-
|৪০ || [[রন্ধনপ্রণালী:ডিম সর্ষে]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২০৬
|-
|৪১ || [[রন্ধনপ্রণালী:দুধ লাউ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৩০
|-
|৪২ || [[রন্ধনপ্রণালী:কুমড়োর ছেঁচকি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৫৮
|-
|৪৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:এঁচোড়ের বিরিয়ানি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৪৫৭
|-
|৪৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:কুমড়ো ভাপা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২০৩
|-
|৪৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:কুদরির তরকারি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২১৬
|-
|৪৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:বোয়াল মাছের কষা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩২০
|-
|৪৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:শিং মাছ ভুনা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২০৭
|-
|৪৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:বোয়াল মাছের তেল ঝাল]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩১১
|-
|৪৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:ঢেঁড়স আলুর তরকারি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৭৪
|-
|৫০ || [[রন্ধনপ্রণালী:চন্দ্রপুলি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৮৫
|-
|৫১ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/সিস্টেম উপস্থাপন]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৬৩
|-
|৫২ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/সিস্টেম মডেলিং]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১২৩৯
|-
|৫৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:মোহন ভোগ মিষ্টি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৪৭৫
|-
|৫৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:বৈকুন্ঠ ভোগ মিষ্টি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৫০
|-
|৫৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:দিলখুশ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৩৮
|-
|৫৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:আমসত্ত্ব সন্দেশ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২০৩
|-
|৫৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:পাকা আমের কালাকান্দ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩১৯
|-
|৫৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:ইলিশ পেটি সন্দেশ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩০৭
|-
|৫৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:মতিচুরের পায়েস]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২০৯
|-
|৬০ || [[রন্ধনপ্রণালী:মনোহরা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩০৫
|-
|৬১ || [[রন্ধনপ্রণালী:মেচা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৪৭
|-
|৬২ || [[রন্ধনপ্রণালী:কলার থোড়ের ঘন্ট]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৬৫
|-
|৬৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:হালিম]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৪৭৬
|-
|৬৪ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/আধুনিক নিয়ন্ত্রণ]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ১১৩
|-
|৬৫ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/টারবাইন ব্লেডের শব্দ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৯৮৬
|-
|৬৬ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/বেসেল ফাংশন ও কেটলড্রাম]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১১৫৫
|-
|৬৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:কলার থোড়ের চচ্চড়ি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৯৬
|-
|৬৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:ল্যাটা মাছের বাটি পোড়া]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৬৩
|-
|৬৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:ল্যাটা মাছের ঝাল]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৯৬
|-
|৭০ || [[রন্ধনপ্রণালী:মোচার পাতুরি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩২১
|-
|৭১ || [[রন্ধনপ্রণালী:শিউলি পাতার বড়া]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩০৬
|-
|৭২ || [[রন্ধনপ্রণালী:মোচার চপ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৭০
|-
|৭৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:ডুমুরের তরকারি]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৬২
|-
|৭৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:ঝিঙে বাটা]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৫৮
|-
|৭৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:মাছের ডিম ভাপা]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৭০
|-
|৭৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:কুমড়োর ছক্কা]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৬৪
|-
|৭৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:ঝিঙে জলবড়া]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৫৮
|-
|৭৮ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/রৈখিক সিস্টেম সমাধান]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৩৭৩
|-
|৭৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:বাসন্তী পোলাও]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৬৮
|-
|৮০ || [[রন্ধনপ্রণালী:কাতলা মাছের রেজালা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৪০৫
|-
|৮১ || [[রন্ধনপ্রণালী:শিম চিংড়ি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৩১
|-
|৮২ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/শৈলীর নির্দেশিকা]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৩৬৯
|-
|৮৩ || [[রাজনৈতিক যোগাযোগের উপাদান/সাধারণ নির্দেশিকা/শব্দ]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ১৩১
|-
|৮৪ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/বলকৃত দোলন (সাধারণ স্প্রিং-ভর সিস্টেম)]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ২৯৩
|-
|৮৫ || [[রাজনৈতিক যোগাযোগের উপাদান/সাধারণ নির্দেশিকা/গুরুত্ব]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ১৪২
|-
|৮৬ || [[রাজনৈতিক যোগাযোগের উপাদান/সাধারণ নির্দেশিকা/বিন্যাস]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ২২১
|-
|৮৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:ঝিঙে আলু পোস্ত]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৮৬
|-
|৮৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:দইয়ের মালপোয়া]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৯৭
|-
|৮৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:মানকচুর জিলিপি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৪১
|-
|৯০ || [[রন্ধনপ্রণালী:মিষ্টি কুমড়ার পায়েস]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৮৯
|-
|৯১ || [[রন্ধনপ্রনালী:শিমের ঝাল]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৪০
|-
|৯২ || [[রন্ধনপ্রনালী:শিম পোস্ত]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৯৬
|-
|৯৩ || [[রন্ধনপ্রনালী:শিমের ঝোল]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৮৪
|-
|৯৪ || [[রন্ধনপ্রনালী:শিম বেগুনের তরকারি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩১৩
|-
|৯৫ || [[রাজনৈতিক যোগাযোগের উপাদান/ডিজিটাল মিডিয়া নির্দেশিকা/ওয়েবসাইট]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৫২২
|-
|৯৬ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/সমাধান পদ্ধতি: তড়িৎ-যান্ত্রিক সাদৃশ্য]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৪০৮
|-
|৯৭ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/সমতল তরঙ্গের প্রতিফলন ও সঞ্চালন]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৭০৬
|-
|৯৮ || [[রাজনৈতিক যোগাযোগের উপাদান/সাধারণ নির্দেশিকা/সংক্ষিপ্ততা]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ১৩৩
|-
|৯৯ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/অবমন্দিত যান্ত্রিক সিস্টেমের বৈশিষ্ট্যনির্ণয়]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৫৯৭
|-
|১০০ || [[উইকিশৈশব:কণা/পদার্থের তিন দশা]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৮৮
|-
|১০১ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/সমতলীয় তরঙ্গের প্রতিফলন ও সঞ্চালন]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৭৩৩
|-
|১০২ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/তড়িৎ-যান্ত্রিক সাদৃশ্যের সমাধান পদ্ধতি]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৪৪১
|-
|১০৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:ছানার পাতুরি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩৪৯
|-
|১০৪ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/তড়িৎ-যান্ত্রিক সাদৃশ্য]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৯৬৭
|-
|১০৫ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/ফিল্টার ডিজাইনের প্রস্তাবনা]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২১০
|-
|১০৬ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/সীমান্ত শর্তাবলী ও বলকৃত কম্পন]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৯৫৯
|-
|১০৭ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/চলন্ত অনুরণক]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ১৫৯
|-
|১০৮ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/অরৈখিকতার শব্দীয় পরামিতি]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ১০৪৫
|-
|১০৯ || [[উইকিশৈশব:কণা/কণার মডেল]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৩৯৬
|-
|১১০ || [[উইকিশৈশব:কণা/গ্যাসের চাপ]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৬৭৫
|-
|১১১ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/সীমান্ত শর্তাবলী ও তরঙ্গের বৈশিষ্ট্য]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৭৭৫
|-
|১১২ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিংড়ি মুসুড়ি ভর্তা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩২০
|-
|১১৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:গোলবাড়ির মাংস]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৪৫৯
|-
|১১৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:মাটনের কবিরাজি কাটলেট]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৪২৩
|-
|১১৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:ভেটকি মাছের কবিরাজি কাটলেট]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩৫০
|-
|১১৬ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/ফাইল এক্সটেনশন দেখানো/লুকানো]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৩৪৪
|-
|১১৭ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/সুইফট ভেরিয়েবল উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২৪২
|-
|১১৮ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/সি-শার্প ভেরিয়েবল উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২৮০
|-
|১১৯ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/পর্যালোচনা: ফাউন্ডেশন টপিকস গ্রুপ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৪৬
|-
|১২০ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিংড়ি কাবাব]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৮৩
|-
|১২১ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/অনুশীলন: অবজেক্ট-ওরিয়েন্টেড প্রোগ্রামিং]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৪২৪
|-
|১২২ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/অবজেক্ট-ওরিয়েন্টেড প্রোগ্রামিং]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৬১
|-
|১২৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:তেঁতুলে চিংড়ি]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩৩৯
|-
|১২৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:ভেটকি রোস্ট]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩৭৮
|-
|১২৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:তেল কই]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৮৯
|-
|১২৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:বোরোলি মাছের পাতুরি]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৬৯
|-
|১২৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:শসা চিংড়ির কারি]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৫৭
|-
|১২৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:বোরোলি মাছের তেল-ঝাল]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৮৯
|-
|১২৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:কই মাছের হরগৌরী]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩৫৫
|-
|১৩০ || [[রন্ধনপ্রনালী:টঙ্কা তোরানি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৭৮
|-
|১৩১ || [[রন্ধনপ্রনালী:কাঁচা আম দিয়ে পটলের চচ্চড়ি]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৫৭
|-
|১৩২ || [[রন্ধনপ্রনালী:ভেটকি মাছের চারমৌলি]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৬১
|-
|১৩৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিংড়ি পোস্তো]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৬৪
|-
|১৩৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:গলদা চিংড়ি রসা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৯২
|-
|১৩৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিতল মাছের তেল ঝাল]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৬১
|-
|১৩৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিতল মাছের কালিয়া]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩৩৯
|-
|১৩৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিতল মাছের রসা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৮২
|-
|১৩৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:তন্দুরি চিংড়ি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩৬০
|-
|১৩৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:এঁচড় চিংড়ি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৯৪
|-
|১৪০ || [[রন্ধনপ্রণালী:ইলিশ কাবাব]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩১৩
|-
|১৪১ || [[রন্ধনপ্রণালী:ইলিশ মাছের মালাইকারি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৩৫
|-
|১৪২ || [[রন্ধনপ্রনালী:আমের ফিরনি]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৬৯
|-
|১৪৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিংড়ি কচু]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ৩০০
|-
|১৪৪ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/সিলেকশন কন্ট্রোল স্ট্রাকচার]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৪৭৩
|-
|১৪৫ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/পর্যালোচনা: উন্নত বিষয় গ্রুপ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৪৫
|-
|১৪৬ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/গুরুত্বপূর্ণ প্রাথমিক চলকসমূহ]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৭৩৯
|-
|১৪৭ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/ইউনারি অপারেশন]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৬৯২
|-
|১৪৮ || [[রন্ধনপ্রনালী:খস খস শরবত]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৪০
|-
|১৪৯ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/প্যারামিটার এবং আর্গুমেন্ট]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৭৫৪
|-
|১৫০ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/পর্যালোচনা: মডুলার প্রোগ্রামিং গ্রুপ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৪৬
|-
|১৫১ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/পর্যালোচনা: স্ট্রাকচার্ড প্রোগ্রামিং গ্রুপ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৬৮
|-
|১৫২ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিতল মাছের মুইঠ্যা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৩৩
|-
|১৫৩ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/ফিল্টার ডিজাইনের রূপরেখা]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৯১
|-
|১৫৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:ভেটকি বেগম বাহার]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩২১
|-
|১৫৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:ফুলকপি সর্ষে]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৩৭
|-
|১৫৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:বোরোলি মাছের চচ্চড়ি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৩১
|-
|১৫৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:বোরোলি মাছের ঝোল]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩১৫
|-
|১৫৮ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/অনুশীলন: স্ট্রিং এবং ফাইল]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ১৪৮৫
|-
|১৫৯ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/অ্যারে অনুসন্ধান]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৫২৫
|-
|১৬০ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিংড়ি কাসুন্দি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৭২
|-
|১৬১ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিংড়ি মুগের ডাল]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৮৪
|-
|১৬২ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/অনুশীলন: স্ট্যান্ডার্ড লাইব্রেরি]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৫১১
|-
|১৬৩ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/ফাংশনের জন্য স্যুডোকোড উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ২২৫
|-
|১৬৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:সাদা ইলিশ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৭৩
|-
|১৬৫ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/অনুশীলন: নির্দিষ্ট কাজের ফাংশন]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৬৮১
|-
|১৬৬ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/স্ট্যান্ডার্ড লাইব্রেরি]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ১১২০
|-
|১৬৭ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/রিটার্ন স্টেটমেন্ট]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৫৮৬
|-
|১৬৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:কলমি চিংড়ি ভাজা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৭৬
|-
|১৬৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:রন্ধনপ্রণালী:ভেটকি পোস্তো]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৬৪
|-
|১৭০ || [[রন্ধনপ্রণালী:খেজুর চিংড়ি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৮৮
|-
|১৭১ || [[রন্ধনপ্রণালী:ইলিশ মাছের মুড়িঘন্ট]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৩৮
|-
|১৭২ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিংড়ি মাছের ঘুগনি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩১৩
|-
|১৭৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:আম চিংড়ী]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৩৪
|-
|১৭৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিংড়ি মধুক্ষীরা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৫৯
|-
|১৭৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:শিংমাছে করোলা চচ্চড়ি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৯০
|-
|১৭৬ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/নেস্টেড ইফ দেন এলস]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৪৯৩
|-
|১৭৭ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/বহুমাত্রিক অ্যারে]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৬৭৮
|-
|১৭৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:লাউপাতার খিলিতে কাচকি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩১৫
|-
|১৭৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:রুপচাদা দোপেঁয়াজা]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩১৬
|-
|১৮০ || [[রন্ধনপ্রণালী:মাছের ডিমের পুঁইখিলি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৬৭
|-
|১৮১ || [[রন্ধনপ্রণালী:কই মাছের দোপেঁয়াজা]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৮৪
|-
|১৮২ || [[রন্ধনপ্রণালী:দোমাছা]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৮১
|-
|১৮৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:গোকুল পিঠে]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৬৯
|-
|১৮৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:ছানা গজা]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৭১
|-
|১৮৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:ছানাবড়া]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩৩৭
|-
|১৮৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:রসাবলী]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৩৬
|-
|১৮৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:সাগর দই]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৮১
|-
|১৮৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:ছানার জিলিপি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৬৭
|-
|১৮৯ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/মডুলার প্রোগ্রামিং]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ২১৫৪
|-
|১৯০ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/ইনপুট-প্রসেস-আউটপুট মডেল]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৪৮৩
|-
|১৯১ || [[রন্ধনপ্রণালী:পেঁয়াজের পায়েস]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৬৬
|-
|১৯২ || [[রন্ধনপ্রণালী:মালাই সন্দেশ]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২১২
|-
|১৯৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:রাজভোগ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩১৪
|-
|১৯৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:সজনে ফুল ভাজি]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২৩৪
|-
|১৯৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:নটিশাক]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২২৪
|-
|১৯৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:ঘি ভাত]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২৭৪
|-
|১৯৭ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/হায়ারার্কি বা স্ট্রাকচার চার্ট]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩৬৪
|-
|১৯৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:ঘন দুধের সন্দেশ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩৭৩
|-
|১৯৯ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/আইডেন্টিফায়ারের নাম]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৪১১
|-
|২০০ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/ইনপুট এবং আউটপুট]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ৪৩২
|-
|২০১ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/ফাইল ইনপুট এবং আউটপুট]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ১৯৫৫
|-
|২০২ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/ব্রাঞ্চিং স্টেটমেন্ট]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ২১৫০
|-
|মোট পাতা:||২০২||মোট শব্দ:||৮১৩৮৫
|}
== [[বাবহারকারী:Firuz Ahmmed|Firuz Ahmmed]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|১ || [[জাপানের ইতিহাস: পুরাণ থেকে জাতিসত্ত্বা/মেইজি যুগ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩১৯৩
|-
|২ || [[জাপানের ইতিহাস: পুরাণ থেকে জাতিসত্ত্বা/দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩০০২
|-
|৩ || [[জাপানের ইতিহাস: পুরাণ থেকে জাতিসত্ত্বা/এদো যুগ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩০৩৭
|-
|৪ || [[জাপানের ইতিহাস: পুরাণ থেকে জাতিসত্ত্বা/কেম্মু পুনরুদ্ধার]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১২৯১
|-
|৫ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/উদারবাদ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৪৩১
|-
|৬ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/মার্ক্স ও মার্ক্সবাদীরা]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২৬২
|-
|৭ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/যুক্তিবিদ্যা/আনুষ্ঠানিক যুক্তি]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৪৮
|-
|৮ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/অতীন্দ্রিয়বাদী ধর্মতত্ত্ব ও অতীন্দ্রিয়বাদ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২২০
|-
|৯ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/বিজ্ঞান দর্শন]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৫০৪
|-
|১০ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/নকশা/নথির বিন্যাস]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৬৯৭
|-
|১১ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/প্রাথমিক ধারণা/পুনর্লিখন]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২২১৯
|-
|১২ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/স্টেট ফিডব্যাক]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৭৮৫
|-
|১৩ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/ওপেন সোর্স টুল/জুলিয়া]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ৪১৮
|-
|১৪ || [[ত্রিমাত্রিক মুদ্রণ/রক্ষণাবেক্ষণ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৬
|-
|১৫ || [[ত্রিমাত্রিক মুদ্রণ/ইতিহাস]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৯২
|-
|১৬ || [[ত্রিমাত্রিক মুদ্রণ/ব্যবহৃত উপকরণ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩৫৮
|-
|১৭ || [[ত্রিমাত্রিক মুদ্রণ/উন্নয়ন]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ২২
|-
|১৮ || [[ত্রিমাত্রিক মুদ্রণ/রঙিন মুদ্রণ]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ১৩৫
|-
|১৯ || [[ত্রিমাত্রিক মুদ্রণ/প্রয়োগসমূহ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৭৫
|-
|২০ || [[ত্রিমাত্রিক মুদ্রণ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১১৯
|-
|২১ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/কক্ষের মৌলিক শব্দীয় ব্যবস্থাপনা]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৮৯২
|-
|২২ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/কম্পিউটার মডেল/দেহসংবেদী তন্ত্র সিমুলেশন]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৮৯৪
|-
|২৩ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/মারিম্বার মৌলিক শব্দবিজ্ঞান]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৯৬৬
|-
|২৪ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/মাইক্রোফোন কৌশল]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৪৫০
|-
|২৫ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/অনুমানকারী ও পর্যবেক্ষক]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৮৯০
|-
|২৬ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/ঘ্রাণতন্ত্র/সংবেদী অঙ্গ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৭০
|-
|২৭ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/রোটার-স্টেটর মিথস্ক্রিয়া]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৫২৩
|-
|২৮ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/শব্দতরঙ্গের অ্যাটেনুয়েশন]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৬৩৪
|-
|২৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:মিল্লি ভাত]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৪৪২
|-
|৩০ || [[কোয়ান্টাম জগৎ/প্রভাব ও প্রয়োগ/অস্পষ্ট অবস্থান কীভাবে আরও অস্পষ্ট হয়]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ২৭৪
|-
|৩১ || [[কোয়ান্টাম জগৎ/প্রভাব ও প্রয়োগ/সময়স্বাধীন শ্রোডিনগার সমীকরণ]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৮৫
|-
|৩২ || [[কানাডায় শরনার্থী প্রক্রিয়া/আচরণবিধি]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ১৮৪৫
|-
|৩৩ || [[উইকিশৈশব:চলো নাইকার গুহাতে স্ফটিকীকরণ নিয়ে কথা বলি/১৫ - এখন তুমি জানো কীভাবে স্ফটিক তৈরি হয়েছে]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৬৯
|-
|৩৪ || [[উইকিশৈশব:চলো নাইকার গুহাতে স্ফটিকীকরণ নিয়ে কথা বলি/১৪ - উভয় গুহায় তাপমাত্রা]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৮৪
|-
|৩৫ || [[উইকিশৈশব:চলো নাইকার গুহাতে স্ফটিকীকরণ নিয়ে কথা বলি/১৩ - স্ফটিকের গুহায় স্ফটিক গঠন]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৯৯
|-
|৩৬ || [[উইকিশৈশব:চলো নাইকার গুহাতে স্ফটিকীকরণ নিয়ে কথা বলি/১১ - অণুগুলো স্তরে স্তরে একত্রিত হয়]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৮১
|-
|৩৭ || [[উইকিশৈশব:চলো নাইকার গুহাতে স্ফটিকীকরণ নিয়ে কথা বলি/১০ - জিপসাম স্ফটিকের পরমাণু ও অণু]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৯০
|-
|৩৮ || [[উইকিশৈশব:চলো নাইকার গুহাতে স্ফটিকীকরণ নিয়ে কথা বলি/৮ - কাচ ও স্ফটিকের অণু]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৮৩
|-
|৩৯ || [[উইকিশৈশব:চলো নাইকার গুহাতে স্ফটিকীকরণ নিয়ে কথা বলি/৭ - সবকিছু পরমাণু দিয়ে গঠিত]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৭৭
|-
|৪০ || [[উইকিশৈশব:চলো নাইকার গুহাতে স্ফটিকীকরণ নিয়ে কথা বলি/৬ - কাচ ও স্ফটিক]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৭৩
|-
|৪১ || [[উইকিশৈশব:চলো নাইকার গুহাতে স্ফটিকীকরণ নিয়ে কথা বলি/৫ - উভয় গুহায় জিপসাম স্ফটিক]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৬৭
|-
|৪২ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/জেফারসনীয় গণতন্ত্র]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ২১২০
|-
|৪৩ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/ধর্মীয় আন্দোল]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৯৩৯
|-
|৪৪ || [[উইকিশৈশব:চলো নাইকার গুহাতে স্ফটিকীকরণ নিয়ে কথা বলি/৪ - স্ফটিকের গুহা]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৭০
|-
|৪৫ || [[উইকিশৈশব:চলো নাইকার গুহাতে স্ফটিকীকরণ নিয়ে কথা বলি/২ - নাইকার গুহাসমূহ]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৬৬
|-
|৪৬ || [[উইকিশৈশব:চলো নাইকার গুহাতে স্ফটিকীকরণ নিয়ে কথা বলি/৩ - তরবারির গুহা]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৬৮
|-
|৪৭ || [[কোয়ান্টাম জগৎ/প্রভাব ও প্রয়োগ/সম্ভাব্যতার প্রবাহ]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৩৪৯
|-
|৪৮ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/দৃষ্টিতন্ত্র/চিত্র প্রক্রিয়াকরণ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৭৬০
|-
|৪৯ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/সিস্টেম ডেভেলপমেন্ট লাইফ সাইকেল]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৫৫১
|-
|৫০ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/স্ট্রাকচার্ড প্রোগ্রামিং]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৬৭৪
|-
|৫১ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/সি++ ভেরিয়েবল উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৫৬০
|-
|৫২ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/জাভা ভেরিয়েবল উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৪৫৯
|-
|৫৩ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/টাইপডেফ সহ বহুমুখী কোড]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৪৩০
|-
|৫৪ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/গেইন]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৫১
|-
|৫৫ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/অনুশীলন: লুপের আগে পরীক্ষা]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৪৬০
|-
|৫৬ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/স্যুডোকোড]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৩৫৬
|-
|৫৭ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/ফ্ল্যাগ ধারণা/ওশেনিয়ার ফ্ল্যাগ]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ২৮
|-
|৫৮ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/ঘ্রাণতন্ত্র/সংবেদী অঙ্গের উপাদান]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৭৯৩
|-
|৫৯ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/স্নায়ুসংবেদী ইমপ্লান্ট/দৃষ্টি ইমপ্লান্ট]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৮৯
|-
|৬০ || [[মাধ্যমিক পদার্থবিজ্ঞান/সংক্ষিপ্ত দৃষ্টিপাত]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৪৮০
|-
|৬১ || [[মাধ্যমিক পদার্থবিজ্ঞান/পদার্থবিজ্ঞান পরীক্ষা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৮৪
|-
|৬২ || [[মাধ্যমিক পদার্থবিজ্ঞান/নিউটনের আপেল]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৭১
|-
|৬৩ || [[মাধ্যমিক পদার্থবিজ্ঞান/ঘূর্ণন গতি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৬৭
|-
|৬৪ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/ম্যানাকিন পাখির অনুরণিত পালক]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৬৯৪
|-
|৬৫ || [[মাধ্যমিক পদার্থবিজ্ঞান/সহজ দোলন]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৯৬
|-
|৬৬ || [[মাধ্যমিক পদার্থবিজ্ঞান/তরঙ্গ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৮৭
|-
|৬৭ || [[মাধ্যমিক পদার্থবিজ্ঞান/বেগ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৯৬
|-
|৬৮ || [[মাধ্যমিক পদার্থবিজ্ঞান/মহাকর্ষ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৬৬
|-
|৬৯ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/কক্ষ শব্দবিজ্ঞান ও কনসার্ট হল]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৬২৬
|-
|৭০ || [[রন্ধনপ্রণালী:চপ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৪৯
|-
|৭১ || [[রন্ধনপ্রণালী:কাচকি মাছ ভাজি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩১৫
|-
|৭২ || [[রন্ধনপ্রণালী:কাচকি মাছের চচ্চড়ি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৭৮
|-
|৭৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:লেটুস পাতা ভাজি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩২১
|-
|৭৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:সজনে পাতার ভাজি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৩৪
|-
|৭৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:কচুর লতি ভাজি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৩০
|-
|৭৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:ময়দার নুডলস]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৪৮১
|-
|৭৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:কাঁচকলার ডালনা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৭৭
|-
|৭৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:টক দই চাট]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩২৩
|-
|৭৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:ডালের চচ্চড়ি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৯৬
|-
|৮০ || [[রন্ধনপ্রণালী:সবজি মিক্স চপ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৫৩
|-
|৮১ || [[রন্ধনপ্রণালী:সবজির স্যান্ডউইচ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩১৫
|-
|৮২ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/গাড়ির মাফলার]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৯৪৮
|-
|৮৩ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/গাড়ির মাফলার: অ্যানিমেশন]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৬৪
|-
|৮৪ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/ডিজিটাল সিস্টেম]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১১৯
|-
|৮৫ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/সোনার]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৪৪
|-
|৮৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:লাল শাক ভর্তা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৪২৬
|-
|৮৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:আনারসের আচারি চিকেন]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৫৭৫
|-
|৮৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:মিষ্টি কুমড়ার চচ্চড়ি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৪৫৪
|-
|৮৯ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/শব্দের গতি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৪৪৪
|-
|৯০ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/স্বররজ্জু]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৫৯২
|-
|৯১ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/বজ্রপাতের শব্দবিজ্ঞান]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১০৯৪
|-
|৯২ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/কর্ণের যান্ত্রিক মডেলিং]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩৯
|-
|৯৩ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/উদাহরণসমূহ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩৩
|-
|৯৪ || [[কোয়ান্টাম জগৎ/আপেক্ষিকতা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৪৯৩
|-
|৯৫ || [[কোয়ান্টাম জগৎ/পরমাণু]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ৮২৯
|-
|৯৬ || [[তড়িৎচৌম্বকীয় বিকিরণ/অবলোহিত রশ্মি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১২৩
|-
|৯৭ || [[তড়িৎচৌম্বকীয় বিকিরণ/পরিমাপের এককসমূহ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩১০
|-
|৯৮ || [[তড়িৎচৌম্বকীয় বিকিরণ/বেতার তরঙ্গ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৪১০
|-
|৯৯ || [[তড়িৎচৌম্বকীয় বিকিরণ/বর্ণালীর ব্যান্ডসমূহ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৮৮
|-
|১০০ || [[তড়িৎচৌম্বকীয় বিকিরণ/ভূমিকা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৩০
|-
|১০১ || [[তড়িৎচৌম্বকীয় বিকিরণ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৬
|-
|১০২ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিংড়ি-মুগডালের খিচুড়ি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩২৮
|-
|১০৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:দই বড়া]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৪২
|-
|১০৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:ডিমের স্যান্ডউইচ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২০৮
|-
|১০৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:কাঁচা আম ভর্তা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৯৩
|-
|১০৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:লাল শাক ভাজি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২১৮
|-
|১০৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:মাছের কোপ্তা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩০৪
|-
|১০৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:সাদা পোলাও]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২২৮
|-
|১০৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:ডালের বড়া]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২০৭
|-
|১১০ || [[রন্ধনপ্রণালী:দুধ পিঠা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৫৬৯
|-
|১১১ || [[রন্ধনপ্রণালী:পুঁই শাক]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৪৪১
|-
|১১২ || [[রন্ধনপ্রণালী:নেহারি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৬৪৪
|-
|১১৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:কাঁচা কলা ভাজি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৫৫
|-
|১১৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:কচুশাক]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৫২৯
|-
|১১৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:কলমি শাক]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩১৮
|-
|১১৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:লাল শাক]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৫৩
|-
|১১৭ || [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/গতিশক্তি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১১২
|-
|১১৮ || [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/তরল]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ২৯০
|-
|১১৯ || [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/বৃত্তাকার গতি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৩১
|-
|১২০ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/কম্পাইলার ডিরেক্টিভ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৪৫৭
|-
|১২১ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/নেস্টেড লুপ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৬২৬
|-
|১২২ || [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/পদার্থবিজ্ঞানের ধ্রুবক]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৪৫
|-
|১২৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিংড়ি ভাজা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৮৪
|-
|১২৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:ডিমের ঝোল]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৯৮
|-
|১২৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিকেন সালাদ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২০৬
|-
|১২৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:ডিম সালাদ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৬০
|-
|১২৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:মাছের চপ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৫৯
|-
|১২৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:ডিম স্যুপ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৪৬
|-
|১২৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:সাদা সেমাই]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৬২
|-
|১৩০ || [[রন্ধনপ্রণালী:বিফ বার্গার]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৮৪
|-
|১৩১ || [[রন্ধনপ্রণালী:সবজি পরোটা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩১৮
|-
|১৩২ || [[রন্ধনপ্রণালী:টমেটো ভর্তা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৯৯
|-
|১৩৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:সবজি চপ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩০০
|-
|১৩৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:দুধ চিঁড়া]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৪৭
|-
|১৩৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:ডিম কারি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৫০
|-
|১৩৬ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/এল-ভ্যালু এবং আর-ভ্যালু]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৪৫৬
|-
|১৩৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:বুটের ঘুগনি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩২৪
|-
|১৩৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:মোগলাই পরোটা]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৫৭৪
|-
|১৩৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:বোয়াল মাছের ঝোল]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৩৬
|-
|১৪০ || [[রন্ধনপ্রণালী:মাগুর মাছের কালিয়া]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৮৭
|-
|১৪১ || [[রন্ধনপ্রণালী:মাগুর মাছের কালিয়া]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৮৭
|-
|১৪২ || [[রন্ধনপ্রণালী:রুই মাছের কালিয়া]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৪৭
|-
|১৪৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:রুই মাছের কালিয়া]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৪৭
|-
|১৪৪ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/টাইপডেফ - একটি উপনাম]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৪৬
|-
|১৪৫ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/স্ট্রিং এবং ফাইল]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ১৯১
|-
|১৪৬ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/স্ট্রিং ফাংশন]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৬৭
|-
|১৪৭ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/স্ট্রিং ফরম্যাটিং]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৯২
|-
|১৪৮ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/সুইফট স্ট্রিং উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৪৭০
|-
|১৪৯ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/জাভাস্ক্রিপ্ট স্ট্রিং উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৪০১
|-
|১৫০ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/জাভা স্ট্রিং উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৪৪৪
|-
|১৫১ || [[রন্ধনপ্রণালী:তেলাপিয়া মাছের ভর্তা]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২৪১
|-
|১৫২ || [[রন্ধনপ্রণালী:কাঠালের বিচির চচ্চড়ি]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৩৮
|-
|১৫৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:আমড়ার টক]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৩৩
|-
|১৫৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:আলু পুরি]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২৪৯
|-
|১৫৫ || [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/কাজ]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ৩৫২
|-
|১৫৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:পুরি]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ৩৫৮
|-
|১৫৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:পুঁটি মাছ ভাজা]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ১৯৭
|-
|১৫৮ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/অ্যারের সাহায্যে গণিত পরিসংখ্যান]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ৩১৯
|-
|১৫৯ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/লুপ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৪৪
|-
|১৬০ || [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/স্থির তরঙ্গ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৩৯
|-
|১৬১ || [[রন্ধনপ্রণালী:লাল চা]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ১৯৭
|-
|১৬২ || [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/ইলেকট্রনিক্স]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৭৮৪
|-
|১৬৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:কাঁচা মরিচ ভর্তা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩০৪
|-
|১৬৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:পেঁয়াজ ভর্তা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৮৭
|-
|১৬৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:শুকনা মরিচ ভর্তা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৫০
|-
|১৬৬ || [[সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/খেলার সমাজবিজ্ঞান]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২৩১
|-
|১৬৭ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/ইটারেশন কন্ট্রোল স্ট্রাকচার]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৯৭
|-
|১৬৮ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/সুইফট ফাংশন উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৩০
|-
|১৬৯ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/স্থির এবং ডাইনামিক অ্যারে]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৫৯
|-
|১৭০ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/স্থির এবং ডাইনামিক অ্যারে]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৫৯
|-
|১৭১ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/অ্যারে সদস্য প্রদর্শন]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ৩৯৫
|-
|১৭২ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/সুইফট শর্তের উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৩৫৮
|-
|১৭৩ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/ফাংশন]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ১২৭
|-
|১৭৪ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/ASCII ক্যারেক্টার সেট]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৯৮
|-
|১৭৫ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/নিজের জ্ঞান যাচাইয়ের উত্তরমালা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৬৫
|-
|মোট পাতা:||১৭৫||মোট শব্দ:||৭২৮২৬
|}
== [[বাবহারকারী:Md Mobashir Hossain|Md Mobashir Hossain]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|১ || [[রন্ধনপ্রণালী:মাকুন্দা পিঠা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৬৮
|-
|২ || [[উইকিশৈশব:গ্ৰাফিতিতে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান/ওই মামা না প্লিজ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১০৯
|-
|৩ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/ব্যবসায়িক যোগাযোগ/শুরু]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৩২৩
|-
|৪ || [[উইকিশৈশব:গ্ৰাফিতিতে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান/কারার ঐ লৌহকপাট]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৩৬
|-
|৫ || [[কোয়ান্টাম জগৎ/প্রভাব ও প্রয়োগ/একটি কোয়ান্টাম বাউন্সিং বল]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২৩৬
|-
|৬ || [[চিন্তন ও নির্দেশনা/ভূমিকা]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ৩১৯
|-
|৭ || [[কোয়ান্টাম জগৎ/ফেইনম্যান রুট/শেষে শ্রোডিনগার]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২৪৯
|-
|৮ || [[উইকিশৈশব:গ্ৰাফিতিতে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান/জেন জি]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৪৭
|-
|৯ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/পরিচিতি]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৫৪
|-
|১০ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/ভূমিকা]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৯২
|-
|১১ || [[উইকিশৈশব:গ্ৰাফিতিতে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান/পানি লাগবে]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৫৫
|-
|১২ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/ঘ্রাণতন্ত্র/ফেরোমোন ও ভোমেরোনাসাল তন্ত্র]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩৬১
|-
|১৩ || [[কোয়ান্টাম জগৎ/সম্ভাব্যতা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৭৬৭
|-
|১৪ || [[কোয়ান্টাম জগৎ/অনির্দিষ্ট সমাকলন]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৫৯
|-
|১৫ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/শব্দীয় লেভিটেশন]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৬১২
|-
|১৬ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/বীমফর্মিং]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৩৫
|-
|১৭ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/শব্দীয় গিটার]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ৩৮৬
|-
|১৮ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/শব্দীয় গিটার]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ৩৮৬
|-
|১৯ || [[কোয়ান্টাম জগৎ/ক্যালকুলাস]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৪০১
|-
|২০ || [[রন্ধনপ্রণালী:শিং মাছের ঝোল]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২২০
|-
|২১ || [[সাধারণ বলবিজ্ঞান/কঠিন বস্তু]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২১৬
|-
|২২ || [[রন্ধনপ্রণালী:ঢাকাই পরোটা]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২৮০
|-
|২৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:ফালুদা]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২৫৪
|-
|২৪ || [[সাধারণ বলবিজ্ঞান/আংশিক উৎপন্ন]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৩১৪
|-
|২৫ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/জাভাস্ক্রিপ্ট ভেরিয়েবল উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৫০৬
|-
|২৬ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/পাইথন ভেরিয়েবল উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৯৬
|-
|২৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:টাকি মাছ ভুনা]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২২৮
|-
|২৮ || [[সাধারণ বলবিজ্ঞান/স্থিতিবিদ্যা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৭০
|-
|২৯ || [[সাধারণ বলবিজ্ঞান/গতিবিদ্যার মৌলিক নীতিমালা]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৬৫১
|-
|৩০ || [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/শব্দ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৪৯০
|-
|৩১ || [[রন্ধনপ্রণালী:বিফ নুডলস]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৩৮
|-
|৩২ || [[মানব শারীরতত্ত্ব/রক্ত শারীরতত্ত্ব]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৪৫৪০
|-
|৩৩ || [[সাধারণ বলবিজ্ঞান/নিউটনের নিয়মের বিকল্প রূপ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৬২৯
|-
|৩৪ || [[সাধারণ বলবিজ্ঞান/নিউটনের নিয়ম ব্যবহার করে বিশ্লেষণ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৩২
|-
|৩৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:বিফ ভুনা]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৫৭
|-
|৩৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিকেন উইংস]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৯৭
|-
|৩৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিকেন ফ্রাই]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৩৮
|-
|৩৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:ডিমের পুরি]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ২৩৪
|-
|৩৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:লাচ্ছা সেমাই]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২০২
|-
|৪০ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিকেন নাগেট]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২১০
|-
|৪১ || [[রন্ধনপ্রণালী:পায়া]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৩২
|-
|৪২ || [[রন্ধনপ্রণালী:শিক কাবাব]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৬৬
|-
|৪৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:সর্ষে ইলিশ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৮৯
|-
|৪৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:বিফ রোল]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ১২৬
|-
|৪৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:রোল]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ১২৭
|-
|৪৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:রোল]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ১২৭
|-
|৪৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিকেন রোল]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৬৫
|-
|৪৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:সিঙ্গারা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৯৮
|-
|৪৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:লুচি]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৩৯
|-
|৫০ || [[রন্ধনপ্রণালী:ইলিশ ভাজা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১২২
|-
|৫১ || [[রন্ধনপ্রণালী:ইলিশ ভাজা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১২২
|-
|৫২ || [[রন্ধনপ্রণালী:বেগুনি]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৬৭
|-
|৫৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:বেগুনি]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৬৭
|-
|৫৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:বিফ তন্দুরি]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৯৬
|-
|৫৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:মুরগির তন্দুরি]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৯৪
|-
|৫৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:ডিম ভুনা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৭৮
|-
|৫৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:ডিম পোচ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৪৯
|-
|৫৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:তেহারি]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২২২
|-
|৫৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:পুঁই শাক চচ্চড়ি]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৯৮
|-
|৬০ || [[রন্ধনপ্রণালী:পেঁয়াজু]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২০৫
|-
|৬১ || [[লুইস ক্যারল/থ্রু দ্য লুকিং-গ্লাস]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২৮২
|-
|৬২ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/সি++ অবজেক্ট উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২২৪
|-
|৬৩ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/সি++ পরিচিতি উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২১২
|-
|৬৪ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/জাভাস্ক্রিপ্ট লুপ উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২৯৬
|-
|৬৫ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/পাইথন লুপ উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৯৩
|-
|৬৬ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/সি-শার্প লুপ উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২৪০
|-
|৬৭ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/সি++ লুপ উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২৭৯
|-
|৬৮ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/সি++ শর্তের উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৩১৩
|-
|৬৯ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/সি++ ফাংশন উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৩৩
|-
|৭০ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/সি-শার্প ফাংশন উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১২৯
|-
|৭১ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/পাইথন ফাংশন উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১১৯
|-
|৭২ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/পাইথন ফাংশন উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১১৯
|-
|৭৩ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/জাভা ফাংশন উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১২১
|-
|৭৪ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/জাভা ফাংশন উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১২১
|-
|৭৫ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/জাভাস্ক্রিপ্ট ফাংশন উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৮৫
|-
|৭৬ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/জাভাস্ক্রিপ্ট ফাংশন উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৮৫
|-
|৭৭ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/পাইথন শর্তের উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৫৮
|-
|৭৮ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/পাইথন শর্তের উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৫৮
|-
|৭৯ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/জাভাস্ক্রিপ্ট শর্তের উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ৩৪৭
|-
|৮০ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/জাভাস্ক্রিপ্ট শর্তের উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ৩৪৭
|-
|৮১ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/সি-শার্প শর্তের উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ২৮৪
|-
|৮২ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/জাভা শর্তের উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ২৯২
|-
|৮৩ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৯৩
|-
|৮৪ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/সি-শার্প অ্যারে উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ৪০৪
|-
|৮৫ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/সি++ অ্যারে উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ৪৯৯
|-
|৮৬ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/জাভাস্ক্রিপ্ট অ্যারে উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:Maruf|Maruf]] || ৪২৬
|-
|৮৭ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/জাভা অ্যারে উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:Maruf|Maruf]] || ৩৯৫
|-
|৮৮ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/জাভা অ্যারে উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:Maruf|Maruf]] || ৩৯৫
|-
|৮৯ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/পাইথন অ্যারে উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:Maruf|Maruf]] || ২৮৭
|-
|৯০ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/সি++ অপারেটরের সংক্ষিপ্ত অগ্রাধিকার তালিকা]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৪৮
|-
|মোট পাতা:||৯০||মোট শব্দ:||২৮৬৭০
|}
== [[বাবহারকারী:M.Asaduzzaman sahed|M.Asaduzzaman sahed]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|১ || [[সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/সমাজায়ন]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৫২৩
|-
|২ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/অন্বেষণ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৩৪৬
|-
|৩ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/কেনেডি এবং জনসন]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৫৭৯০
|-
|৪ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/ফোর্ড কার্টার রিগ্যান]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৫২২৭
|-
|৫ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/পশ্চিমমুখী সম্প্রসারণ এবং প্রকাশ্য নিয়তি]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৪০৩৭
|-
|৬ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/উন্নয়নসমূহ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২১৭৩
|-
|৭ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/প্রগতিশীল যুগ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২৬০৮
|-
|৮ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও পারমাণবিক যুগের উত্থান]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৪৬০২
|-
|৯ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/নিক্সন এবং ইন্দোচীন]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৪০০৯
|-
|১০ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/আমেরিকান বিপ্লব]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩২৩৪
|-
|১১ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/যুদ্ধ, জাতীয়তাবাদ ও বিভাজন]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৮২৭৯
|-
|১২ || [[মানব শারীরতত্ত্ব/অনাক্রম্যতন্ত্র]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৮৮৩২
|-
|১৩ || [[সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/রাজনীতি]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৩৩৬৮
|-
|১৪ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/পতঙ্গ/ঘ্রাণতন্ত্র]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৭২৩
|-
|১৫ || [[সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/প্রাতিষ্ঠানিক আচরণ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৯৭৪৯
|-
|১৬ || [[সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/গণমাধ্যম]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৬৫৮
|-
|১৭ || [[সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/প্রত্যপথগামিতা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৮৪৪
|-
|১৮ || [[সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/সামাজিক মনোবিজ্ঞান]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৯৪১০
|-
|১৯ || [[মানব শারীরতত্ত্ব/অনুভূতি]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৮৩০৮
|-
|২০ || [[সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/সামাজিক কাঠামো]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১০০৫
|-
|২১ || [[সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/স্তরীকরণ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৪১০২
|-
|২২ || [[সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/সমাজবিজ্ঞানের তত্ত্ব]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৪৭১৫
|-
|২৩ || [[সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/মানব বাস্তুসংস্থান ও পরিবেশ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৬০৩
|-
|২৪ || [[সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/গোষ্ঠী]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৬৫১৪
|-
|২৫ || [[লুইস ক্যারল/ভূমিকা]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ১৭৩
|-
|২৬ || [[লুইস ক্যারল/জ্যামিতি এবং যুক্তি]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ১৩৩
|-
|২৭ || [[লুইস ক্যারল/প্রাথমিক জীবন]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৪২২
|-
|২৮ || [[লুইস ক্যারল/রাজবংশ থেকে আগত]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২৬৩
|-
|২৯ || [[লুইস ক্যারল/বংশপরিচয়]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ১৫০১
|-
|৩০ || [[লুইস ক্যারল/বংশপরিচয়]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ১৫০১
|-
|৩১ || [[লুইস ক্যারল/অ্যালিস ইন ওয়ান্ডারল্যান্ড]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৪৬৪
|-
|৩২ || [[লুইস ক্যারল/শিশু বন্ধু ও প্রাপ্তবয়স্ক বন্ধু]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৯০১
|-
|৩৩ || [[লুইস ক্যারল/শিশু বন্ধু ও প্রাপ্তবয়স্ক বন্ধু]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৯০১
|-
|মোট পাতা:||৩৩||মোট শব্দ:||১১০৯১৮
|}
== [[বাবহারকারী:Nettime Sujata|Nettime Sujata]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|১ || [[জাপানের ইতিহাস: পুরাণ থেকে জাতিসত্ত্বা/ভূমিকা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩০০৯
|-
|২ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/নৈতিকতা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৩৫১
|-
|৩ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/প্রশ্নোত্তর]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ১৭১৮
|-
|৪ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/শব্দীয় মাইক্রো পাম্প]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৯৫৩
|-
|৫ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/শব্দীয় গিটার কীভাবে কাজ করে]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৮৪৫
|-
|৬ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/শ্রবণ সুরক্ষা]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১১৮৪
|-
|৭ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/মাইক্রোফোন ডিজাইন ও পরিচালনা]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৮৯০
|-
|মোট পাতা:||৭||মোট শব্দ:||১১৯৫০
|}
== [[বাবহারকারী:Md.Farhan Mahmud|Md.Farhan Mahmud]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|১ || [[কোয়ান্টাম জগৎ/খেলা]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২১৫
|-
|মোট পাতা:||১||মোট শব্দ:||২১৫
|}
== [[বাবহারকারী:Salil Kumar Mukherjee|Salil Kumar Mukherjee]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|১ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/সূচিপত্র]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৪৭৫
|-
|২ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/মূল বিষয়সূচি]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩৯৪
|-
|৩ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/উৎস নথিভুক্তকরণ/MLA শৈলী পাদটীকা ও অন্তটীকা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩৬১
|-
|৪ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/উৎস নথিভুক্তকরণ/MLA শৈলী সংক্ষিপ্ত উদ্ধৃতি]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৭৩
|-
|৫ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/উৎস নথিভুক্তকরণ/APA শৈলী পাঠ্যভিত্তিক উদ্ধৃতি]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৬৪
|-
|৬ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/উৎস নথিভুক্তকরণ/পাঠ্যের মধ্যে উদ্ধৃতির অবস্থান]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৪২
|-
|৭ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/উৎস নথিভুক্তকরণ/উদ্ধৃতির মৌলিক নির্দেশিকা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৩০
|-
|৮ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/উৎস নথিভুক্তকরণ/সঠিক নথিভুক্তি নির্বাচন]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১২৪
|-
|৯ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৩৮
|-
|১০ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/উৎস নথিভুক্তকরণ/উৎস নথিভুক্তির কারণ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৭৮
|-
|১১ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/গ্রন্থের ইতিহাস]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩৯৫
|-
|১২ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/প্রাথমিক ধারণা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৭৩
|-
|১৩ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/উৎসর্গ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৪১
|-
|১৪ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/হাইড্রোলিক সিস্টেমে কোলাহল]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৭০০
|-
|১৫ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/অরৈখিক সিস্টেম]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৯০
|-
|মোট পাতা:||১৫||মোট শব্দ:||৫২৭৮
|}
== [[বাবহারকারী:Farihat Mahirah|Farihat Mahirah]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|১ || [[জাপানের ইতিহাস: পুরাণ থেকে জাতিসত্ত্বা/সামরিকতন্ত্রের উত্থান]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৩৭১
|-
|মোট পাতা:||১||মোট শব্দ:||৩৭১
|}
== [[বাবহারকারী:নিয়াজ ইসলাম|নিয়াজ ইসলাম]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|১ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/যুক্তিবিদ্যা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩২৬
|-
|২ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/যুক্তিবিদ্যা/ন্যান্ড ও নর]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ১৬৩
|-
|৩ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/সম্পাদনার জন্য উপকরণ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১২০
|-
|৪ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/পাতা উল্টানোর নির্দেশনা]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৩৫
|-
|৫ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/উৎস নথিভুক্তকরণ/MLA শৈলী]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৫৪
|-
|৬ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/উৎস নথিভুক্তকরণ/APA শৈলী]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১১৭
|-
|৭ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/উৎস নথিভুক্তকরণ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৬০
|-
|৮ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/প্রচ্ছদ]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ১৪০
|-
|৯ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/লেখক/MK]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৪৮
|-
|১০ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/যুক্তিবিদ্যা/গ্রন্থপঞ্জি]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৮৩
|-
|১১ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/যুক্তিবাদ]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ১১২
|-
|১২ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/দর্শন করা বলতে কী বোঝায়?]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১০০
|-
|১৩ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/জেন বৌদ্ধধর্ম]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ১৭৬
|-
|১৪ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/মানক ফর্ম]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৮০৭
|-
|১৫ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/লেখকবৃন্দ]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৩৮
|-
|১৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:মসুর ডাল]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২২৪
|-
|১৭ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/সূচীপত্র]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৯৬
|-
|১৮ || [[সাধারণ বলবিজ্ঞান/সূচক সংজ্ঞা]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ১৩২
|-
|১৯ || [[সাধারণ বলবিজ্ঞান/বহু কণার গতি]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ১০২
|-
|২০ || [[সাধারণ বলবিজ্ঞান/মাখের নীতি]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ১৯
|-
|২১ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/প্রচ্ছদ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৪
|-
|২২ || [[সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/সামরিক বাহিনী]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১২০
|-
|২৩ || [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ৯২
|-
|২৪ || [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/পদার্থবিজ্ঞানের উদ্দেশ্য]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৬
|-
|২৫ || [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/উদ্দেশ্য]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৬৩
|-
|২৬ || [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/ঘর্ষণ সহগ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১০১
|-
|২৭ || [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/ভরকেন্দ্র]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৪
|-
|২৮ || [[লুইস ক্যারল]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৪৫
|-
|২৯ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/ভূমিকা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৮২
|-
|৩০ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/শব্দকোষ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২১
|-
|৩১ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/হৃদযন্ত্র]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ২৫
|-
|৩২ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/স্বীকৃতি]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৩৬
|-
|৩৩ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৭২
|-
|৩৪ || [[তত্ত্ব শিখন/প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষণ: আন্তঃপ্রতিষ্ঠানিক]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৪৭৩
|-
|৩৫ || [[তত্ত্ব শিখন]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৯০
|-
|মোট পাতা:||৩৫||মোট শব্দ:||৫৬৪৬
|}
== [[বাবহারকারী:Parishexplorer|Parishexplorer]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|মোট পাতা:||০||মোট শব্দ:||০
|}
== [[বাবহারকারী:Ridnin Riz|Ridnin Riz]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|১ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/উৎস নথিভুক্তকরণ/MLA শৈলী সারণি ও চিত্র]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৪১৮
|-
|মোট পাতা:||১||মোট শব্দ:||৪১৮
|}
== [[বাবহারকারী:Sheikh Mehedi Hassan|Sheikh Mehedi Hassan]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|১ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/যুক্তিবিদ্যা/ভূমিকা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৭৫১
|-
|২ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/আধ্যাত্মিক অভিজ্ঞতা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩৪৬
|-
|৩ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/জ্ঞানতত্ত্ব কী?]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৪৪১
|-
|৪ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/যুক্তিবিদ্যা/ত্রুটি নির্ণয়]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৮০
|-
|৫ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/স্বাধীনতাবাদ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২২৭
|-
|৬ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/অলঙ্করণ/অলঙ্করণাল কাঠামো]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৬৩৪
|-
|৭ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/অলঙ্করণ/লেখক]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ১৩৪২
|-
|৮ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/নির্দেশাবলি/চিত্র]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৫২৭
|-
|৯ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/সম্পদ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৭৫৮
|-
|১০ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/অলঙ্করণ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১০৩৯
|-
|১১ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/অলঙ্করণ/শ্রোতা]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৫৬৬
|-
|১২ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/অলঙ্করণ/প্রসঙ্গ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৪৭০
|-
|১৩ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/অলঙ্করণ/বিষয়]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩৩৮
|-
|১৪ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/উৎস নথিভুক্তকরণ/APA শৈলী রেফারেন্স তালিকা]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৬১৯
|-
|১৫ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/ট্রান্সফার ফাংশন]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৬১৮
|-
|১৬ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/অলঙ্করণ/উদ্দেশ্য]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৯৬৭
|-
|১৭ || [[সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/সমাজবিজ্ঞানীয় পদ্ধতি]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ৪৭৩৪
|-
|১৮ || [[সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/বিশিষ্ট সমাজবিজ্ঞানী]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২০১
|-
|১৯ || [[মানব শারীরতত্ত্ব/নারী প্রজননতন্ত্র]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৭৫৫৪
|-
|২০ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/বেস রিফ্লেক্স এনক্লোজার ডিজাইন]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ১৪৫০
|-
|২১ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/কি-ওয়ার্ড]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৩৪
|-
|২২ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকার/মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টীকাযুক্ত সংবিধান]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ৫৮৭৮
|-
|২৩ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/ঔপনিবেশিক ধর্ম]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৪৪৩
|-
|২৪ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/তৃতীয় পক্ষ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৭৫২
|-
|২৫ || [[আইবি আমেরিকা ইতিহাস]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ১৩৪৪
|-
|২৬ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/ক্লারিনেটের শব্দবিজ্ঞান]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৭৪৬
|-
|২৭ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/ম্যাটল্যাব]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৪০৬
|-
|২৮ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/শক-তরঙ্গের গুণগত বর্ণনা]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৩৯০
|-
|২৯ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/বহিরাঙ্গনে শব্দ সঞ্চালন]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২০৯১
|-
|৩০ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/রূপান্তর পরিশিষ্ট]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৭২৭
|-
|৩১ || [[কোয়ান্টাম জগৎ/ফেইনম্যান রুট/কোয়ান্টাম থেকে ধ্রুপদী]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২১৫৮
|-
|৩২ || [[কোয়ান্টাম জগৎ/আপেক্ষিকতা/লরেন্জ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৭৬৯
|-
|৩৩ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/জুরি পরীক্ষা]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৮১৬
|-
|৩৪ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/শব্দচালিত সিস্টেম]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৬৭৮
|-
|৩৫ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/নাইকুইস্ট স্থিতিশীলতা মানদণ্ড]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১১৬৫
|-
|৩৬ || [[কোয়ান্টাম জগৎ/প্রভাব ও প্রয়োগ/পর্যবেক্ষণযোগ্য ও অপারেটর]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৪৮৯
|-
|৩৭ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/গৃহযুদ্ধ]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৭৯৪৩
|-
|৩৮ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/আর্থ্রোপড/ম্যান্টিস চিংড়ি]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ৭৯৩
|-
|৩৯ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/পিজোইলেকট্রিক শব্দ সংবেদক]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১০১৩
|-
|৪০ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/সিলড বক্স সাবউফার ডিজাইন]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৮৪৯
|-
|৪১ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/শব্দকোষ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২২২৩
|-
|৪২ || [[কানাডায় শরনার্থী প্রক্রিয়া/এই লেখার সম্পর্কে]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১১৮৯
|-
|৪৩ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৮৬০
|-
|৪৪ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৮৬০
|-
|৪৫ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/পেশী]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৯৪৭
|-
|৪৬ || [[সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/সমাজবিজ্ঞানের ভিডিও]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ৬৪২
|-
|৪৭ || [[সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/কোর্স গ্রহণ]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২০
|-
|৪৮ || [[অতীন্দ্রিয়বাদ/আলোচনা]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৫৭১৯
|-
|৪৯ || [[সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/প্রযুক্তি, ইন্টারনেট ও ভার্চুয়াল জগৎ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৬৮৭
|-
|৫০ || [[সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/বার্ধক্য]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২৬৫০
|-
|৫১ || [[রন্ধনপ্রণালী:বুটের ডাল]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২১৬
|-
|৫২ || [[রন্ধনপ্রণালী:মিষ্টি কুমড়ো ভাজি]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ২২৪
|-
|৫৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:শিমের দানা ভুনা]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ২৬০
|-
|৫৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:ঢেঁড়স ভাজি]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ২১৭
|-
|৫৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:পালং শাক ভাজি]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ২২৩
|-
|৫৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:সবজি কারি]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ২৯২
|-
|৫৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:মাছের বড়া]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ২৮৬
|-
|৫৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:টমেটো সালাদ]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২০৬
|-
|৫৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:শসার সালাদ]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২০৫
|-
|৬০ || [[রন্ধনপ্রণালী:টক দই]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ১৯৩
|-
|৬১ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিকেন কোপ্তা]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৯৪
|-
|৬২ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিকেন কোপ্তা]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৯৪
|-
|৬৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:ডিম রোল]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৫৭
|-
|৬৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:গুড়ের পায়েস]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২২৭
|-
|৬৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:আনারসের চাটনি]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২২৭
|-
|৬৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:আনারসের চাটনি]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২২৭
|-
|৬৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:সেমাই পায়েস]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২০৮
|-
|৬৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:সেমাই পায়েস]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২০৮
|-
|৬৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:কুলের আচার]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৯৯
|-
|৭০ || [[রন্ধনপ্রণালী:কুলের আচার]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৯৯
|-
|মোট পাতা:||৭০||মোট শব্দ:||৭৮২০৫
|}
== [[বাবহারকারী:Anik Kanti Dey|Anik Kanti Dey]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|১ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/মূল স্থান]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ৭৯৪
|-
|২ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/নিয়ন্ত্রক ও ক্ষতিপূরণকারী]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৭৬২
|-
|৩ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/কম্পিউটার মডেল/দৃষ্টিগত তথ্য প্রক্রিয়াজাতকরণের বর্ণনামূলক সিমুলেশন]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১২৪৪
|-
|৪ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/মানব কণ্ঠস্বর উৎপাদন]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ১০৫৫
|-
|৫ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/ভূমিকা]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ৯৫৯
|-
|৬ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/সাধারণ বৈশিষ্ট্য/অ্যাসোসিয়েশন কর্টেক্স]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৫০৪
|-
|৭ || [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/ভেক্টর ও স্কেলার]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৬৯৪
|-
|৮ || [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/তরঙ্গের অতিঅংশ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৫০৩
|-
|৯ || [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/ঘূর্ণন বল]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ৪৩৮
|-
|১০ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/নিয়ন্ত্রণযোগ্যতা ও পর্যবেক্ষণযোগ্যতা]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৭৩৮
|-
|১১ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/ডিজিটাল স্টেট স্পেস]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৭৩৮
|-
|১২ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/ডিজিটাল ও এনালগ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৭৮৭
|-
|মোট পাতা:||১২||মোট শব্দ:||৯২১৬
|}
== [[বাবহারকারী:Prerana Hatua|Prerana Hatua]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|১ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/সিস্টেম নির্দিষ্টকরণ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৩২
|-
|মোট পাতা:||১||মোট শব্দ:||১৩২
|}
== [[বাবহারকারী:Sagar Mahmud 1122|Sagar Mahmud 1122]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|১ || [[রাজনৈতিক যোগাযোগের উপাদান/প্রচলিত মিডিয়া নির্দেশিকা/সংবাদ বিজ্ঞপ্তি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৬২৮
|-
|২ || [[রাজনৈতিক যোগাযোগের উপাদান/প্রচলিত মিডিয়া নির্দেশিকা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৪
|-
|৩ || [[রাজনৈতিক যোগাযোগের উপাদান/মৌখিক বার্তার নির্দেশিকা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৪
|-
|৪ || [[রাজনৈতিক যোগাযোগের উপাদান/সাধারণ নির্দেশিকা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩২
|-
|৫ || [[উইকিশৈশব:কণা/প্রসারণ না সংকোচন?]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৯৫
|-
|মোট পাতা:||৫||মোট শব্দ:||১০৯৩
|}
== [[বাবহারকারী:রানা123|রানা123]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|১ || [[উইকিশৈশব:কণা/সারাংশ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৫৯৪
|-
|২ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/সমতলীয় তরঙ্গের প্রতিফলন, সঞ্চালন ও প্রতিসরণ]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৮৯
|-
|৩ || [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/ভরবেগ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৮২
|-
|৪ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/উপপ্রস্তাবনা]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৫৪
|-
|৫ || [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/অপটিক্স]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ৪৪৩
|-
|মোট পাতা:||৫||মোট শব্দ:||১৮৬২
|}
== [[বাবহারকারী:Thajib Hossain|Thajib Hossain]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|১ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/অনুশীলন: পয়েন্টার]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৪০২
|-
|২ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/প্রচলিত নিয়ন্ত্রণ]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৩১৭
|-
|মোট পাতা:||২||মোট শব্দ:||৭১৯
|}
== [[বাবহারকারী:Yasser Raihan|Yasser Raihan]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|১ || [[উইকিশৈশব:কণা/ব্রাউনীয় গতি]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩৫২
|-
|মোট পাতা:||১||মোট শব্দ:||৩৫২
|}
== [[বাবহারকারী:MD Sahib|MD Sahib]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|১ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/সরল দোলন]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৮৩
|-
|মোট পাতা:||১||মোট শব্দ:||৩৮৩
|}
== [[বাবহারকারী:Sa'Adat-E-Zubaire|Sa'Adat-E-Zubaire]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|১ || [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/ক্ষেত্র]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২৪৩
|-
|২ || [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/অরাজকতা তত্ত্ব]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২১৮
|-
|৩ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/একাডেমিক বা শিক্ষাগত অসততা]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১২৭৯
|-
|মোট পাতা:||৩||মোট শব্দ:||১৭৪০
|}
== [[বাবহারকারী:Md Rashidul Hasan Biplob|Md Rashidul Hasan Biplob]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|১ || [[সম্পর্ক/মানব মস্তিষ্কের বিকাশ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৯৩০
|-
|২ || [[সম্পর্ক/অ্যাগাপে]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৮৯
|-
|৩ || [[তড়িৎ ও চুম্বক/স্থির তড়িৎ/পটেনশিয়াল গ্রাডিয়েন্ট]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৪০৪
|-
|৪ || [[তড়িৎ ও চুম্বক/স্থির তড়িৎ/একাধিক আধানসৃষ্ট বিভব]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ১৪৮
|-
|৫ || [[তড়িৎ ও চুম্বক/স্থির তড়িৎ/একটি আধানের কুলম্ব বিভব]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ১৬১
|-
|৬ || [[তড়িৎ ও চুম্বক/স্থির তড়িৎ/ক্যাপাসিটর]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৭০
|-
|৭ || [[তড়িৎ ও চুম্বক/স্থির তড়িৎ/পরিবাহীতে স্থির তড়িৎ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩৫০
|-
|৮ || [[তড়িৎ ও চুম্বক/চল তড়িৎ/ব্যাটারি ও জেনারেটর]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৪৩
|-
|৯ || [[তড়িৎ ও চুম্বক/চুম্বকত্ব/চৌম্বকের তড়িচ্চালক শক্তি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৪৪১
|-
|১০ || [[তড়িৎ ও চুম্বক/চুম্বকত্ব/চুম্বক]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ২৪৯
|-
|১১ || [[রন্ধনপ্রণালী:মুড়িঘন্ট]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৯১
|-
|১২ || [[রন্ধনপ্রণালী:লালমোহন]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৫৬৪
|-
|১৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:নবরত্ন কোরমা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৪৮৭
|-
|১৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:দই চিংড়ি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৪৫৮
|-
|১৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:খাসির রেজালা]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৮১
|-
|১৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:কালোজাম]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ৮২৪
|-
|১৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:মুরগির রোস্ট]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৪০২
|-
|১৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:পান্তা ভাত]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৩২৭
|-
|১৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:দই চিঁড়া]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৩৮
|-
|২০ || [[রন্ধনপ্রণালী:শুঁটকি ভর্তা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১২২
|-
|মোট পাতা:||২০||মোট শব্দ:||৮৩৭৯
|}
== [[বাবহারকারী:T. Fhyym|T. Fhyym]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|১ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/শর্তাধীন অপারেটর]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ৭১০
|-
|মোট পাতা:||১||মোট শব্দ:||৭১০
|}
== [[বাবহারকারী:Najmol Hasan|Najmol Hasan]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|মোট পাতা:||০||মোট শব্দ:||০
|}
== [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|১ || [[উইকিশৈশব:গ্ৰাফিতিতে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান/আবু সাইদ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৪৭
|-
|২ || [[উইকিশৈশব:গ্ৰাফিতিতে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৫৮
|-
|মোট পাতা:||২||মোট শব্দ:||২০৫
|}
== [[বাবহারকারী:Ajmain Istheak|Ajmain Istheak]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|১ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/সিকোয়েন্স অপারেটর]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২৩৬
|-
|২ || [[কোয়ান্টাম জগৎ/আপেক্ষিকতা/লরেন্জ সংকোচন ও সময় সম্প্রসারণ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৫১
|-
|মোট পাতা:||২||মোট শব্দ:||৪৮৭
|}
== [[বাবহারকারী:Towfik Ahmed 07|Towfik Ahmed 07]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|১ || [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/তরঙ্গ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৫২৩
|-
|মোট পাতা:||১||মোট শব্দ:||৫২৩
|}
== [[বাবহারকারী:Md Nasir Uddin Biplob|Md Nasir Uddin Biplob]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|১ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/ঘ্রাণতন্ত্র/ভূমিকা]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ১৮৩
|-
|মোট পাতা:||১||মোট শব্দ:||১৮৩
|}
== [[বাবহারকারী:Azizul Islam Abir|Azizul Islam Abir]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|১ || [[ঢেঁড়স ভাজি]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ১৬৯
|-
|২ || [[খাসির কাচ্চি বিরিয়ানি]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২২০
|-
|মোট পাতা:||২||মোট শব্দ:||৩৮৯
|}
== [[বাবহারকারী:Dr. Mosaddek Khondoker|Dr. Mosaddek Khondoker]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|১ || [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/রৈখিক গতি]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৯৯৯
|-
|মোট পাতা:||১||মোট শব্দ:||১৯৯৯
|}
== [[বাবহারকারী:Sheikh MD. Obaidul Hossain|Sheikh MD. Obaidul Hossain]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|১ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/পতঙ্গ/দৃষ্টি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১০৮৬
|-
|২ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/জেলিফিশ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৪৬৮
|-
|৩ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/দৃষ্টিতন্ত্র/পুরাতন/সংকেত প্রক্রিয়াকরণ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৭৭৩
|-
|৪ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/অব্যবহারে সংবেদী প্রক্রিয়াকরণের পরিবর্তন]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩২০০
|-
|মোট পাতা:||৪||মোট শব্দ:||৭৫২৭
|}
== [[বাবহারকারী:যুবায়ের হোসাইন কায়েফ|যুবায়ের হোসাইন কায়েফ]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|১ || [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/গ্রীক বর্ণমালা]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ৪০৪
|-
|২ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/সমীকরণের তালিকা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২০৩
|-
|৩ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/উদাহরণ/দ্বিতীয় শ্রেণীর সিস্টেম]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৩৬৩
|-
|৪ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/আবরণ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩৪
|-
|৫ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/স্নায়ুতন্ত্র/নিজের জ্ঞান যাচাইয়ের উত্তরমালা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৮২
|-
|৬ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/কোষ/নিজের জ্ঞান যাচাইয়ের উত্তরমালা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৫১
|-
|৭ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/জ্ঞানেন্দ্রিয়সমূহ/নিজের জ্ঞান যাচাইয়ের উত্তরমালা]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২৪২
|-
|৮ || [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/আবৃত্ত গতি]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ৬২
|-
|৯ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/শব্দকোষ/ড-ঢ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৭৬
|-
|১০ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/শ্বসনতন্ত্র/নিজের জ্ঞান যাচাইয়ের উত্তরমালা]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২৪৮
|-
|১১ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/পৌষ্টিকনালী ও পরিপাক/নিজের জ্ঞান যাচাইয়ের উত্তরমালা]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৩৬৮
|-
|১২ || [[তড়িৎচৌম্বকীয় বিকিরণ/গামা রশ্মি]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১২৪
|-
|১৩ || [[তড়িৎচৌম্বকীয় বিকিরণ/মাইক্রোতরঙ্গ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৯৯
|-
|১৪ || [[তড়িৎচৌম্বকীয় বিকিরণ/সম্পর্কসমূহ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১১৩
|-
|১৫ || [[তড়িৎচৌম্বকীয় বিকিরণ/দৃশ্যমান আলো]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৬৩
|-
|১৬ || [[তড়িৎচৌম্বকীয় বিকিরণ/রঞ্জন রশ্মি]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৩১
|-
|১৭ || [[মানব শারীরতত্ত্ব/অ্যাসাইনমেন্টসমূহ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৪২৫
|-
|১৮ || [[সাধারণ বলবিজ্ঞান/বেগ নির্ভর বল]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৫০৭
|-
|১৯ || [[সাধারণ বলবিজ্ঞান]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৭৬
|-
|২০ || [[সাধারণ বলবিজ্ঞান/কাজ ও ক্ষমতা]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৬৬৫
|-
|মোট পাতা:||২০||মোট শব্দ:||৪৬৩৬
|}
== [[বাবহারকারী:Somajyoti|Somajyoti]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|১ || [[তড়িতচুম্বকীয় বিকিরণ/গামা রশ্মি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১২০
|-
|২ || [[তড়িতচুম্বকীয় বিকিরণ/এক্স-রে]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৩৩
|-
|৩ || [[তড়িতচুম্বকীয় বিকিরণ/অতিবেগুনি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২২৬
|-
|৪ || [[তড়িতচুম্বকীয় বিকিরণ/দৃশ্যমান আলো]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৫৮
|-
|৫ || [[তড়িতচুম্বকীয় বিকিরণ/ইনফ্রারেড]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১২২
|-
|৬ || [[তড়িতচুম্বকীয় বিকিরণ/মাইক্রোওয়েভ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১১৯
|-
|৭ || [[তড়িতচুম্বকীয় বিকিরণ/রেডিও]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৪০১
|-
|৮ || [[তড়িতচুম্বকীয় বিকিরণ/বর্ণালীর ব্যান্ডসমূহ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৯১
|-
|৯ || [[তড়িতচুম্বকীয় বিকিরণ/সম্পর্কসমূহ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১২২
|-
|১০ || [[তড়িতচুম্বকীয় বিকিরণ/পরিমাপের এককসমূহ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩২০
|-
|১১ || [[তড়িতচুম্বকীয় বিকিরণ/ভূমিকা]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১২৪
|-
|১২ || [[তড়িতচুম্বকীয় বিকিরণ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩৫
|-
|মোট পাতা:||১২||মোট শব্দ:||২০৭১
|}
== [[বাবহারকারী:Hi.junaidofficial|Hi.junaidofficial]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|১ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/ইনডিরেকশন অপারেটর]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৮২৫
|-
|মোট পাতা:||১||মোট শব্দ:||৮২৫
|}
== [[বাবহারকারী:Md Nayed Ahmed Riaj|Md Nayed Ahmed Riaj]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|১ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিকেন ফিঙ্গার]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৮৫
|-
|২ || [[রন্ধনপ্রণালী:কই মাছের ঝোল]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২১১
|-
|৩ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/ভূমিকা]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৩৩
|-
|৪ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/শব্দকোষ/ক-ল]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৭৩
|-
|৫ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/ভয়েড ডেটা টাইপ]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২০৭
|-
|মোট পাতা:||৫||মোট শব্দ:||৭০৯
|}
== [[বাবহারকারী:Bosesukla|Bosesukla]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|১ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/হৃদযন্ত্র/হৃৎপিণ্ড]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৬২১
|-
|মোট পাতা:||১||মোট শব্দ:||১৬২১
|}
== [[বাবহারকারী:Narrative warrior|Narrative warrior]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|১ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/টেক্সট ফাইল থেকে অ্যারে লোড করা]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৪৬৯
|-
|মোট পাতা:||১||মোট শব্দ:||৪৬৯
|}
== [[বাবহারকারী:Abdur Rakib|Abdur Rakib]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|১ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/হৃদযন্ত্র/রক্ত সংবহন]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৮৫১
|-
|মোট পাতা:||১||মোট শব্দ:||১৮৫১
|}
== [[বাবহারকারী:Malihamoni|Malihamoni]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|১ || [[রন্ধনপ্রণালী:গরুর কাচ্চি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২০৯
|-
|২ || [[রন্ধনপ্রণালী:ফিশ কারি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৬৩
|-
|৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:ফিশ ফ্রাই]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৪৭
|-
|৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:ভেজ নুডলস]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৫৯
|-
|৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:বন রুটি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২১১
|-
|৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:গরুর মাংস ভুনা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২১০
|-
|৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:মালাই চপ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৬০
|-
|৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:মশুর ডাল]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৪৮
|-
|মোট পাতা:||৮||মোট শব্দ:||১৪০৭
|}
== [[বাবহারকারী:Akhlakur Rahman Adil|Akhlakur Rahman Adil]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|১ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/দৃষ্টিতন্ত্র/পুরাতন/সংবেদী অঙ্গ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৭৯৭
|-
|২ || [[রন্ধনপ্রণালী:পনির কারি]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৩১৮
|-
|৩ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/সাধারণ অরৈখিকতা]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ৩৬৩
|-
|৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিকেন বার্গার]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৭৫
|-
|মোট পাতা:||৪||মোট শব্দ:||১৭৫৩
|}
== [[বাবহারকারী:BNBOY|BNBOY]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|১ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/ডিজিটাল নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৭৫৪
|-
|মোট পাতা:||১||মোট শব্দ:||৭৫৪
|}
== [[বাবহারকারী:NeoNoman|NeoNoman]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|১ || [[তড়িৎ ও চুম্বক/চুম্বকত্ব/তড়িৎ প্রবাহে কুলম্বের সূত্র]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২২৪
|-
|২ || [[তড়িৎ ও চুম্বক/স্থির তড়িৎ/তড়িৎ বিভব]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৮৫৯
|-
|মোট পাতা:||২||মোট শব্দ:||১০৮৩
|}
== [[বাবহারকারী:Hosen MD Obayedullah|Hosen MD Obayedullah]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|মোট পাতা:||০||মোট শব্দ:||০
|}
== [[বাবহারকারী:Daiyan-2004|Daiyan-2004]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|১ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/ফর লুপ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৩২৬
|-
|মোট পাতা:||১||মোট শব্দ:||৩২৬
|}
== [[বাবহারকারী:Ishrat Jahan Tahmid|Ishrat Jahan Tahmid]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|১ || [[সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/সামাজিক আন্দোলন]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৮৭৫
|-
|২ || [[সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/সমষ্টিগত আচরণ]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৩৭৫৩
|-
|মোট পাতা:||২||মোট শব্দ:||৬৬২৮
|}
== [[বাবহারকারী:Obangmoy|Obangmoy]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|১ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/লেখক]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১২২
|-
|২ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/ভূমিকা]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৫৫৮
|-
|৩ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/সুইফট লুপ উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ২৬১
|-
|৪ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/লুপের উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ১৯
|-
|৫ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/সুইফট অ্যারে উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ২৩১
|-
|৬ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/শর্তের উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২৮৮
|-
|মোট পাতা:||৬||মোট শব্দ:||১৪৭৯
|}
== [[বাবহারকারী:MD Ashradul Islam Tasin|MD Ashradul Islam Tasin]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|১ || [[তত্ত্ব শিখন/প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষণ: প্রভাবক উপাদান]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৩৯৮
|-
|২ || [[তত্ত্ব শিখন/প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষণ: শাখাভিত্তিক অবদান]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৬৭১
|-
|৩ || [[তত্ত্ব শিখন/নির্মাণবাদী তত্ত্ব]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১১৪৬
|-
|৪ || [[তত্ত্ব শিখন/আচরণবাদী তত্ত্ব]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৪২১
|-
|৫ || [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/লগারিদম]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২৪০
|-
|৬ || [[অতীন্দ্রিয়বাদ/অতীন্দ্রিয়বাদ কি?]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৮২৮
|-
|মোট পাতা:||৬||মোট শব্দ:||৯৭০৪
|}
== [[বাবহারকারী:Sifat Hasan Adil|Sifat Hasan Adil]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|মোট পাতা:||০||মোট শব্দ:||০
|}
== [[বাবহারকারী:Waliurrahmanlimon|Waliurrahmanlimon]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|১ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/সি-শার্প পরিচিতি উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ২১১
|-
|মোট পাতা:||১||মোট শব্দ:||২১১
|}
== [[বাবহারকারী:Editobd|Editobd]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|১ || [[রন্ধনপ্রণালী:বেসনের পকোড়া]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩৮৬
|-
|২ || [[রন্ধনপ্রণালী:বেসনের চপ]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৫৮১
|-
|৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিকেন চিলি]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৪০৬
|-
|৪ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/অভিযোজিত নিয়ন্ত্রণ]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ১০৮
|-
|৫ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/আর্থ্রোপড]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ৮৯৬
|-
|৬ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ০
|-
|মোট পাতা:||৬||মোট শব্দ:||২৩৭৭
|}
== [[বাবহারকারী:Dolon Prova|Dolon Prova]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|১ || [[রন্ধনপ্রণালী:শসার রায়তা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৫০
|-
|২ || [[রন্ধনপ্রণালী:আলু বেগুনের ঝোল]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৯৭
|-
|৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:ভাপা পিঠা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৫৯
|-
|৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:বাঁধাকপি ভাজি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২০৬
|-
|৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিংড়ি ভুনা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৯৩
|-
|৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:শুঁটকি ভুনা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৫৯
|-
|মোট পাতা:||৬||মোট শব্দ:||১১৬৪
|}
== [[বাবহারকারী:Saadi095|Saadi095]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|১ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিকেন নুডলস]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৫৮
|-
|মোট পাতা:||১||মোট শব্দ:||২৫৮
|}
khm28axi2eue3r1d3xf5ndu8i53yymt
85832
85831
2025-07-08T09:12:22Z
Maruf
8010
সংশোধন
85832
wikitext
text/x-wiki
{{উইকিবই লিখন প্রতিযোগিতা ২০২৫|সক্রিয়=7}}
== ফলাফল ==
{| class="wikitable sortable"
|+ এক নজরে পরিসংখ্যান (শব্দ সংখ্যার ভিত্তিতে সাজানো)
|-
! সি. !! ব্যবহারকারী !! গৃহীত নিবন্ধ সংখ্যা !! শব্দ সংখ্যা
|-
| ১ || SMontaha32 || ১১০ || ১,৮০,১১৮
|-
| ২ || MS Sakib || ১৩ || ১,৭১,৫৬৮
|-
| ৩ || Asikur.rahman25 || ৫৪ || ১,২৪,৯১৬
|-
| ৪ || NusJaS || ১৫ || ১,১২,১৮৪
|-
| ৫ || M.Asaduzzaman sahed || ৩৩ || ১,১০,৯১৮
|-
| ৬ || RDasgupta2020 || ২০২ || ৮১,৩৮৫
|-
| ৭ || Sheikh Mehedi Hassan || ৭০ || ৭৮,২০৫
|-
| ৮ || Firuz Ahmmed || ১৭৫ || ৭২,৮২৬
|-
| ৯ || Md Mobashir Hossain || ৯০ || ২৮,৬৭০
|-
| ১০ || MD Abu Siyam || ১৮৮ || ৫২,১৮৭
|-
| ১১ || Ei to ami akash || ২৪ || ২২,২০১
|-
| ১২ || MD Ashradul Islam Tasin || ৬ || ৯,৭০৪
|-
| ১৩ || Anik Kanti Dey || ১২ || ৯,২১৬
|-
| ১৪ || Md Rashidul Hasan Biplob || ২০ || ৮,৩৭৯
|-
| ১৫ || Sheikh MD. Obaidul Hossain || ৪ || ৭,৫২৭
|-
| ১৬ || Ishrat Jahan Tahmid || ২ || ৬,৬২৮
|-
| ১৭ || নিয়াজ ইসলাম || ৩৫ || ৫,৬৪৬
|-
| ১৮ || Salil Kumar Mukherjee || ১৫ || ৫,২৭৮
|-
| ১৯ || যুবায়ের হোসাইন কায়েফ || ২০ || ৪,৬৩৬
|-
| ২০ || Editobd || ৬ || ২,৩৭৭
|-
| ২১ || Anisvai || ১০ || ২,০৬১
|-
| ২২ || Somajyoti || ১২ || ২,০৭১
|-
| ২৩ || Dr. Mosaddek Khondoker || ১ || ১,৯৯৯
|-
| ২৪ || Abdur Rakib || ১ || ১,৮৫১
|-
| ২৫ || রানা১২৩ || ৫ || ১,৮৬২
|-
| ২৬ || Akhlakur Rahman Adil || ৪ || ১,৭৫৩
|-
| ২৬ || Sa'Adat-E-Zubaire || ৩ || ১,৭৪০
|-
| ২৮ || Bosesukla || ১ || ১,৬২১
|-
| ২৯ || Obangmoy || ৬ || ১,৪৭৯
|-
| ৩০ || Malihamoni || ৮ || ১,৪০৭
|-
| ৩১ || Dolon Prova || ৬ || ১,১৬৪
|-
| ৩২ || NeoNoman || ২ || ১,০৮৩
|-
| ৩৩ || Sagar Mahmud 1122 || ৫ || ১,০৯৩
|-
| ৩৪ || Hi.junaidofficial || ১ || ৮২৫
|-
| ৩৫ || BNBOY || ১ || ৭৫৪
|-
| ৩৬ || Md Nayed Ahmed Riaj || ৫ || ৭০৯
|-
| ৩৭ || T. Fhyym || ১ || ৭১০
|-
| ৩৮ || Thajib Hossain || ২ || ৭১৯
|-
| ৩৯ || Towfik Ahmed 07 || ১ || ৫২৩
|-
| ৪০ || Narrative warrior || ১ || ৪৬৯
|-
| ৪১ || Ajmain Istheak || ২ || ৪৮৭
|-
| ৪২ || Ridnin Riz || ১ || ৪১৮
|-
| ৪৩ || MD Sahib || ১ || ৩৮৩
|-
| ৪৪ || Azizul Islam Abir || ২ || ৩৮৯
|-
| ৪৫ || Yasser Raihan || ১ || ৩৫২
|-
| ৪৬ || Daiyan-2004 || ১ || ৩২৬
|-
| ৪৭ || Saadi095 || ১ || ২৫৮
|-
| ৪৮ || Waliurrahmanlimon || ১ || ২১১
|-
| ৪৯ || MdsShakil || ২ || ২০৫
|-
| ৫০ || Md Nasir Uddin Biplob || ১ || ১৮৩
|-
| ৫১ || Prerana Hatua || ১ || ১৩২
|-
| ৫২ || Md.Farhan Mahmud || ১ || ২১৫
|-
| ৫৩ || Najmol Hasan || ০ || ০
|-
| ৫৪ || Parishexplorer || ০ || ০
|-
| ৫৫ || Hosen MD Obayedullah || ০ || ০
|-
| ৫৬ || Sifat Hasan Adil || ০ || ০
|}
== [[বাবহারকারী:Ei to ami akash|Ei to ami akash]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|১ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/যুক্তিবিদ্যা/প্রকরণ যুক্তি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩৪৩
|-
|২ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/নকশা/প্রারম্ভিক অংশ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৬৮১
|-
|৩ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/নকশা/নথির বিন্যাস/সংগঠনের ধরন]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৪৬০
|-
|৪ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/নকশা/চিত্র]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৭৯৮
|-
|৫ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/নকশা/চিত্রপট]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৮৭১
|-
|৬ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/দর্শনের উদ্ভব]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৪৭৬
|-
|৭ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/যুক্তিবিদ্যা/যুক্তি ও কারণ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১০৭৮
|-
|৮ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/বৌদ্ধ দর্শন কী?]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৯৮০
|-
|৯ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/নৈতিকতা কী?]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৪৩৫
|-
|১০ || [[কোয়ান্টাম জগৎ/প্রভাব ও প্রয়োগ/শক্তি কোয়ান্টাইজড কেন]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ৩৯৩
|-
|১১ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/MIMO সিস্টেমের জন্য স্বত্বমান নির্ধারণ]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৭৭৮
|-
|১২ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/তারের অনুপ্রস্থ কম্পন]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৩৯০
|-
|১৩ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/কার্টেসীয় স্থানাঙ্কে শব্দতরঙ্গ সমাধান]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২৪৩
|-
|১৪ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/শব্দতরঙ্গ সমীকরণ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৪৩০
|-
|১৫ || [[অধ্যয়ন দক্ষতা/বিকল্প কৌশল]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৬৪১
|-
|১৬ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/সময়-ডোমেইন সমাধান]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ১৩৮
|-
|১৭ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/স্থিতিস্থাপক কঠিন পদার্থে তরঙ্গগতি]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩৪৮
|-
|১৮ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/শব্দকোষ/বই সংস্করণ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১২৮
|-
|১৯ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/শ্রেণীবিন্যাস]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৫৮৪
|-
|২০ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/রসায়নিক পদার্থ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৬১৮
|-
|২১ || [[তড়িৎ ও চুম্বক/স্থির তড়িৎ/কুলম্বের সূত্র]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৩৩৮
|-
|২২ || [[সাধারণ বলবিজ্ঞান/টর্ক ও কৌণিক ভরবেগ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৫৩৯
|-
|২৩ || [[তড়িৎ ও চুম্বক/চুম্বকত্ব/ভেক্টর গুণফল]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ১৩২
|-
|২৪ || [[সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/সংস্কৃতি]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৩৩৭৯
|-
|মোট পাতা:||২৪||মোট শব্দ:||২২২০১
|}
== [[বাবহারকারী:MD Abu Siyam|MD Abu Siyam]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|১ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/স্ট্রিং ডেটা টাইপ]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ৫১৭
|-
|২ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/শ্রবণের পরিবাহী প্রক্রিয়া]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৮০
|-
|৩ || [[ত্রিমাত্রিক মুদ্রণ/মুদ্রণ পরবর্তী প্রক্রিয়াকরণ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১০৭
|-
|৪ || [[ত্রিমাত্রিক মুদ্রণ/স্লাইসিং সফটওয়্যার]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২০৫
|-
|৫ || [[ত্রিমাত্রিক মুদ্রণ/মডেলসমূহ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২০০
|-
|৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:বড়া খিচুড়ি]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩৩৭
|-
|৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:পানতোয়া]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৮৪
|-
|৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:শাহী দাল মাখনি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩০৭
|-
|৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিকেন ড্রামস্টিক]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩০২
|-
|১০ || [[রন্ধনপ্রণালী:জিরা পানি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৬৭
|-
|১১ || [[রন্ধনপ্রণালী:জিরা পানি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৬৭
|-
|১২ || [[রন্ধনপ্রণালী:বাদাম ভর্তা]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩০০
|-
|১৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:পনির পাকোড়া]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৭৭
|-
|১৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:পাঁপড়]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৬৬
|-
|১৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:ছিটা রুটি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩৫৬
|-
|১৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিকেন দম বিরিয়ানি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩৭৪
|-
|১৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:কর্নডগ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৭৩
|-
|১৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:আচারি চিকেন]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৪৩৬
|-
|১৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:পেস্তা হালুয়া]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২২৩
|-
|২০ || [[রন্ধনপ্রণালী:হান্ডি বিফ]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৭৬
|-
|২১ || [[রন্ধনপ্রণালী:মাঠা]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৭২
|-
|২২ || [[রন্ধনপ্রণালী:মাঠা]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৭২
|-
|২৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:ব্রাউনি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৩৬
|-
|২৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:ব্রাউনি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৩৬
|-
|২৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিকেন শাসলিক]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২২৮
|-
|২৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিকেন জালি কাবাব]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৩৫
|-
|২৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:জাফরানি শরবত]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৯৭
|-
|২৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:বাদাম শরবত]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২০২
|-
|২৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:হুমুস]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৮২
|-
|৩০ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিকেন নাচোস]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২১৯
|-
|৩১ || [[রন্ধনপ্রণালী:পটেটো ওয়েজেস]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৪৩
|-
|৩২ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিকেন টিক্কা কাবাব]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৪০
|-
|৩৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিকেন বটি কাবাব]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৫০
|-
|৩৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:অনিয়ন রিংস]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২২৪
|-
|৩৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:কুনাফা চকলেট]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৭৯
|-
|৩৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:টাকো]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৬৮
|-
|৩৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:কচুপাতা ভর্তা]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৭৩
|-
|৩৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:চাল কুমড়ার মোরব্বা]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৮৮
|-
|৩৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:আমের মোরব্বা]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৯৯
|-
|৪০ || [[রন্ধনপ্রণালী:পেলকা]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৬৭
|-
|৪১ || [[রন্ধনপ্রণালী:চ্যাপা শুটকি ভর্তা]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৩৮৮
|-
|৪২ || [[রন্ধনপ্রণালী:ডোনাট]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৫৩২
|-
|৪৩ || [[কানাডায় শরনার্থী প্রক্রিয়া/ শব্দকোষ]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৩০৩
|-
|৪৪ || [[উইকিশৈশব:চলো নাইকার গুহাতে স্ফটিকীকরণ নিয়ে কথা বলি]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৩৮৯
|-
|৪৫ || [[উইকিশৈশব:চলো নাইকার গুহাতে স্ফটিকীকরণ নিয়ে কথা বলি/১২ - তরবারির গুহায় স্ফটিক গঠন]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৬১
|-
|৪৬ || [[উইকিশৈশব:চলো নাইকার গুহাতে স্ফটিকীকরণ নিয়ে কথা বলি/১ - নাইকা মেক্সিকোতে অবস্থিত]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৪৬
|-
|৪৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:ধোকলা]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৭০
|-
|৪৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:তেলি হাঁস ভুনা]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২২৮
|-
|৪৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:মুড়ি সন্দেশ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৫৮
|-
|৫০ || [[রন্ধনপ্রণালী:খেজুরের ক্ষীর]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২২৭
|-
|৫১ || [[রন্ধনপ্রণালী:গরুর মাংসের ঝুরি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩২০
|-
|৫২ || [[রন্ধনপ্রণালী:মাছের দো পোয়া]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৬৫
|-
|৫৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:ফাফড়া]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৬৮
|-
|৫৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:মোচার ঘন্ট]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৬০
|-
|৫৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:ঘিয়ের মোয়া]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৫৪
|-
|৫৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:কাঁঠালের বিচির ঘন্ট]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২১২
|-
|৫৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:কাঁঠালের বিচির ঘন্ট]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২১২
|-
|৫৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:ক্ষীরশাপটা]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৩৬
|-
|৫৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:ক্ষীরশাপটা]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৩৬
|-
|৬০ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিংড়ি নারকেল ঝোল]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৪৭
|-
|৬১ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিংড়ি নারকেল ঝোল]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৪৭
|-
|৬২ || [[রন্ধনপ্রণালী:ধনেপাতার মুরগী]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৫৪
|-
|৬৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:ধনেপাতার মুরগী]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৫৪
|-
|৬৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:মেওয়া লাড্ডু]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২০৭
|-
|৬৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:আলুর বড়া]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৭৬
|-
|৬৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:ইলিশের খোসার ঝোল]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩০৬
|-
|৬৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:লাউ ভাজা]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২১১
|-
|৬৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:ডিমের টমেটো কারি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৫৫
|-
|৬৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিড়ার কাবাব]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২২৪
|-
|৭০ || [[রন্ধনপ্রণালী:চালতার আচার]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২২৪
|-
|৭১ || [[রন্ধনপ্রণালী:বুটের শিরনী]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৭৩
|-
|৭২ || [[রন্ধনপ্রণালী:লাউ খোয়া]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৬৩
|-
|৭৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:পুঁটিমাছ ভুনা]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৫৮
|-
|৭৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:মেজবানি মাংস]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৯১
|-
|৭৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:তান্দুরি রুটি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৭১
|-
|৭৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:বিফ চাপ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩১০
|-
|৭৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:ছানার দম পনির]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৯৭
|-
|৭৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:নবাবি কচুরি]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৩৫৫
|-
|৭৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিকেন দোপেয়াজা]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৩৬৩
|-
|৮০ || [[রন্ধনপ্রণালী:মালাই কোফতা]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৩৭৩
|-
|৮১ || [[রন্ধনপ্রণালী:পনির বাটার মসলা]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৩৬৩
|-
|৮২ || [[রন্ধনপ্রণালী:চুইঝাল চিংড়ি]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৩৩০
|-
|৮৩ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/অ্যাপ্লিকেশন ওয়েবসাইটসমূহ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৫২
|-
|৮৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:পটলের চপ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৯৬
|-
|৮৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:চালকুমড়ার বড়া]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৬৮
|-
|৮৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:চকলেট মিল্কশেক]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২২০
|-
|৮৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:শুটকি চচ্চড়ি]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৮৮
|-
|৮৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:শুটকি চচ্চড়ি]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৮৮
|-
|৮৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:সবজি পাকোড়া]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৭৯
|-
|৯০ || [[রন্ধনপ্রণালী:মুগডালের হালুয়া]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৯৪
|-
|৯১ || [[রন্ধনপ্রণালী:বাঁধাকপির ঘন্ট]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৬৯
|-
|৯২ || [[রন্ধনপ্রণালী:পোড়া বেগুন ভর্তা]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৬৬
|-
|৯৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিকেন নাগা কারি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩০০
|-
|৯৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:স্ট্রবেরি মিল্কশেক]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৭৯
|-
|৯৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:স্ট্রবেরি লাচ্ছি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৯৬
|-
|৯৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:ম্যাংগো মিল্কশেক]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৮৬
|-
|৯৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:তেঁতুলের চাটনি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২১০
|-
|৯৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:পুদিনা চাটনি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২২৪
|-
|৯৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:বাদাম পুলি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৭২
|-
|১০০ || [[রন্ধনপ্রণালী:সরষে পাবদা]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩১৯
|-
|১০১ || [[রন্ধনপ্রণালী:রসকদম্ব]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩২১
|-
|১০২ || [[রন্ধনপ্রণালী:কাঁচকলার কোপ্তা]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩১০
|-
|১০৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:সজনে ডাল]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২১৩
|-
|১০৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:ম্যাংগো লাচ্ছি]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২৪৯
|-
|১০৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিংড়ি ভর্তা]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২৪০
|-
|১০৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:সাগুর পায়েস]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২৬৩
|-
|১০৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:মুরগির পাকোড়া]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২৭৯
|-
|১০৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিকেন পপকর্ন]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৩০০
|-
|১০৯ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/লজিক্যাল অপারেটর]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৪৩৫
|-
|১১০ || [[রন্ধনপ্রণালী:মাংসের আচার]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৩৩৬
|-
|১১১ || [[রন্ধনপ্রণালী:রামেন]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২৭০
|-
|১১২ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিঁড়ের পায়েস]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৫২
|-
|১১৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:শিমের ডালনা]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২৭১
|-
|১১৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিকেন স্যুপ]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২৯০
|-
|১১৫ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/সাইজঅফ অপারেটর]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৩১১
|-
|১১৬ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/সফটওয়্যার টেস্টিং]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৫৭৯
|-
|১১৭ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/রিলেশনাল অপারেটর]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৯৭
|-
|১১৮ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/প্রোগ্রাম ডিজাইন]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৫৯৯
|-
|১১৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:বালাচাও]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ৩৩৫
|-
|১২০ || [[রন্ধনপ্রণালী:টমেটো খাট্টা]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২৮১
|-
|১২১ || [[রন্ধনপ্রণালী:মধুভাত]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২৮৯
|-
|১২২ || [[রন্ধনপ্রণালী:ফুলকপির ধোকা]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৩৩৬
|-
|১২৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:ছানার ডালনা]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২৯৬
|-
|১২৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:রেজালা]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ৩০৩
|-
|১২৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:মোঘলাই কোরমা]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৮৭
|-
|১২৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:পটলের কোপ্তা]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৪৪১
|-
|১২৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:কাঁচামিষ্টি আমদই]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২২০
|-
|১২৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:সাতকরা গরুর মাংস]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২২৯
|-
|১২৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:শাহী টুকরা]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ৩৪৫
|-
|১৩০ || [[রন্ধনপ্রণালী:শাহী দুধ সেমাই]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ৩১৫
|-
|১৩১ || [[রন্ধনপ্রণালী:চীজকেক]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৬০
|-
|১৩২ || [[রন্ধনপ্রণালী:আলু পনির]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৩৮
|-
|১৩৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:রাবড়ি]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৮৫
|-
|১৩৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:ছানার বরফি]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৭২
|-
|১৩৫ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/সুইফট অবজেক্ট উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ২৯৮
|-
|১৩৬ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/সুইফট পরিচিতি উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ২০২
|-
|১৩৭ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/জাভাস্ক্রিপ্ট পরিচিতি উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ৩৫২
|-
|১৩৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:ছোলে ভাটুরে]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৯৯
|-
|১৩৯ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/লেখকবৃন্দ]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ৩৬
|-
|১৪০ || [[রন্ধনপ্রণালী:খাসির চাপ]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৬৭
|-
|১৪১ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/প্রোগ্রামিং পরিচিতি]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ১৯২
|-
|১৪২ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/পাইথন পরিচিতি উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ২১৩
|-
|১৪৩ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/ডেটা ম্যানিপুলেশন]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ৫৭৭
|-
|১৪৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:প্যানকেক]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৪৫
|-
|১৪৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:সুজির টোস্ট]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৬৪
|-
|১৪৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:দই চাট]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২১৪
|-
|১৪৭ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/সূচীপত্র]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১০৩৫
|-
|১৪৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:আচারি বিফ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩৫১
|-
|১৪৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:দই কাতলা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩৫২
|-
|১৫০ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিড়ার সরবত]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩৩১
|-
|১৫১ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিড়ার সরবত]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩৩১
|-
|১৫২ || [[রন্ধনপ্রণালী:ঘুগনি]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩৭৪
|-
|১৫৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:ঘুগনি]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩৭৪
|-
|১৫৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:ঘোল]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩০৯
|-
|১৫৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিকেন শর্মা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৯২
|-
|১৫৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিকেন শর্মা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৯২
|-
|১৫৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:ফিশ কাটলেট]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৬৪
|-
|১৫৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:জর্দা সেমাই]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৭৩
|-
|১৫৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:গরুর পায়া]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৩৬৮
|-
|১৬০ || [[রন্ধনপ্রণালী:তিলের নাড়ু]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২৫৪
|-
|১৬১ || [[রন্ধনপ্রণালী:নারকেলের নাড়ু]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৪৬
|-
|১৬২ || [[রন্ধনপ্রণালী:মুরগির কোরমা]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২৯৩
|-
|১৬৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিকেন ললিপপ]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২৪১
|-
|১৬৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:কলিজা ভুনা]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২৬১
|-
|১৬৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:কলিজা সিঙ্গারা]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৩৩৮
|-
|১৬৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:মলিদা]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২১৮
|-
|১৬৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:আলু পরোটা]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২৫৭
|-
|১৬৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:ডিম পরোটা]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২৬৮
|-
|১৬৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:বাটার নান]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৩৩০
|-
|১৭০ || [[রন্ধনপ্রণালী:দুধ চিতই]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৩২১
|-
|১৭১ || [[রন্ধনপ্রণালী:দুধ পুলি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৩৫
|-
|১৭২ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিংড়ির ভর্তা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৬৫
|-
|১৭৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:মশলা চা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২১৬
|-
|১৭৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:আদা চা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৩৮
|-
|১৭৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:লেবু চা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৪৫
|-
|১৭৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:বেলপুরি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৪২২
|-
|১৭৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:ছানার পায়েস]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৪৫৫
|-
|১৭৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:ফ্রায়েড রাইস]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২১৬
|-
|১৭৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:বিফ স্টেক]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৯৫
|-
|১৮০ || [[রন্ধনপ্রণালী:ডিম টোস্ট]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১০৯
|-
|১৮১ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/অ্যাসাইনমেন্ট বনাম সমতা]] || [[বাবহারকারী:Maruf|Maruf]] || ৩৮৮
|-
|১৮২ || [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/বিষয়সমূহ]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ১৪৯
|-
|১৮৩ || [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/লেখক]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৮
|-
|১৮৪ || [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৯২
|-
|১৮৫ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/ডেটা এবং অপারেটর]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৫২
|-
|১৮৬ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/সি++ সংরক্ষিত কীওয়ার্ড]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২৪৪
|-
|১৮৭ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/বুলিয়ান ডেটা টাইপ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৩৩০
|-
|১৮৮ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/অ্যাসাইনমেন্ট]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২৬২
|-
|মোট পাতা:||১৮৮||মোট শব্দ:||৫২১৮৭
|}
== [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|১ || [[জাপানের ইতিহাস: পুরাণ থেকে জাতিসত্ত্বা]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৪৯২
|-
|২ || [[জাপানের ইতিহাস: পুরাণ থেকে জাতিসত্ত্বা/আসুকা যুগ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৮৩৮৩
|-
|৩ || [[সবকিছুর জন্যেই ইন্টারনেট?/নজরদারি ও প্রতিনজরদারি]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২০৫৬৫
|-
|৪ || [[সবকিছুর জন্যেই ইন্টারনেট?/ডিজিটাল যুগে ব্যক্তিগত ও জনপরিসর]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৮৯৫৫
|-
|৫ || [[সবকিছুর জন্যেই ইন্টারনেট?]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৪৬১
|-
|৬ || [[সবকিছুর জন্যেই ইন্টারনেট?/প্রযুক্তিগত ও সাংস্কৃতিক নির্ধারণবাদ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৩৭০৩
|-
|৭ || [[কানাডায় শরনার্থী প্রক্রিয়া/স্বাধীন সিদ্ধান্তগ্রহণকারীর অধিকার]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ৫২৫১
|-
|৮ || [[কানাডায় শরনার্থী প্রক্রিয়া/শরণার্থী প্রক্রিয়া ব্যাখ্যার নীতিমালা]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ১৭৩৪৩
|-
|৯ || [[কানাডায় শরনার্থী প্রক্রিয়া/বোর্ডের অনুসন্ধানমূলক দায়িত্ব]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ৬৮৮৬
|-
|১০ || [[কানাডায় শরনার্থী প্রক্রিয়া/পক্ষপাতহীন সিদ্ধান্তগ্রহণকারীর অধিকার]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ৫২৬৯
|-
|১১ || [[কানাডায় শরনার্থী প্রক্রিয়া/ন্যায্য শুনানির অধিকার]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২১৪৮৪
|-
|১২ || [[কানাডায় শরনার্থী প্রক্রিয়া/কানাডায় শরণার্থী প্রক্রিয়ার ইতিহাস]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২০৮৮৪
|-
|১৩ || [[কানাডায় শরনার্থী প্রক্রিয়া]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৮৯২
|-
|মোট পাতা:||১৩||মোট শব্দ:||১৭১৫৬৮
|}
== [[বাবহারকারী:Asikur.rahman25|Asikur.rahman25]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|১ || [[রাজনৈতিক যোগাযোগের উপাদান/প্রচলিত মিডিয়া নির্দেশিকা/মতামত কলাম ও সম্পাদককে চিঠি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৮১৩
|-
|২ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/কক্ষে তড়িৎ-শব্দীয় স্থাপনাসমূহ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৯০২
|-
|৩ || [[জাপানের ইতিহাস: পুরাণ থেকে জাতিসত্ত্বা/আজুচি–মোমোয়ামা যুগ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৬০৫
|-
|৪ || [[জাপানের ইতিহাস: পুরাণ থেকে জাতিসত্ত্বা/মুরোমাচি যুগ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৫৪৭
|-
|৫ || [[জাপানের ইতিহাস: পুরাণ থেকে জাতিসত্ত্বা/কামাকুরা যুগ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৭০০
|-
|৬ || [[জাপানের ইতিহাস: পুরাণ থেকে জাতিসত্ত্বা/জোমন যুগ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১২৭৮
|-
|৭ || [[জাপানের ইতিহাস: পুরাণ থেকে জাতিসত্ত্বা/সংঘর্ষকালীন রাজ্য যুগ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২০৮৯
|-
|৮ || [[জাপানের ইতিহাস: পুরাণ থেকে জাতিসত্ত্বা/সংঘর্ষকালীন রাজ্য যুগ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২০৮৯
|-
|৯ || [[জাপানের ইতিহাস: পুরাণ থেকে জাতিসত্ত্বা/জাপানে মার্কিন দখল]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩১৮৪
|-
|১০ || [[জাপানের ইতিহাস: পুরাণ থেকে জাতিসত্ত্বা/বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী জাপান]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২১৬৪
|-
|১১ || [[জাপানের ইতিহাস: পুরাণ থেকে জাতিসত্ত্বা/তাইশো যুগ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৩৭৬
|-
|১২ || [[সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/লিঙ্গ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৩২৫৯
|-
|১৩ || [[সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/সমাজ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২৯২২
|-
|১৪ || [[মানব শারীরতত্ত্ব/জিনতত্ত্ব ও বংশগতি]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৬১৮০
|-
|১৫ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/প্রজনন তন্ত্র]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৪৫৪৫
|-
|১৬ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/অন্তঃক্ষরা তন্ত্র]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৫৪৪৯
|-
|১৭ || [[জাপানের ইতিহাস: পুরাণ থেকে জাতিসত্ত্বা/গ্রন্থপঞ্জি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২০৬৭
|-
|১৮ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/পৌষ্টিকনালী ও পরিপাক]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৩৮৩৫
|-
|১৯ || [[সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/জনসংখ্যাতত্ত্ব]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩৩৮০
|-
|২০ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/স্নায়ুতন্ত্র]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২৮২৫
|-
|২১ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/জ্ঞানেন্দ্রিয়সমূহ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৩২১৭
|-
|২২ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/দৃষ্টি সংকেত প্রক্রিয়াকরণ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৫৭৬৯
|-
|২৩ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/মানব স্বররজ্জু/উৎস-ফিল্টার তত্ত্ব]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৪৪৮
|-
|২৪ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/ভারসাম্যতন্ত্রের সংকেত প্রক্রিয়াকরণ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৪৪৪
|-
|২৫ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/ইরান]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩০০১
|-
|২৬ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/ উদ্দীপনাময় বিংশ শতাব্দী এবং নিষেধাজ্ঞা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৫৪১৭
|-
|২৭ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/ট্রুম্যান এবং স্নায়ু যুদ্ধ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৬০৬
|-
|২৮ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/রাজনৈতিক দর্শন কী?]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৯৪৮
|-
|২৯ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/অতিভৌতিকতা কী?]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১০৯৫
|-
|৩০ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/সুবিধাবাদ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৮৬৬
|-
|৩১ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/ব্যক্তি কী?]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ২৪৬৩
|-
|৩২ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/বিস্ফোরণ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৭০১
|-
|৩৩ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের শব্দবিজ্ঞানগত চ্যালেঞ্জ]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ১২১৬
|-
|৩৪ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/পতঙ্গ/দিকনির্ণয়]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৫৮১
|-
|৩৫ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/বর্ণ প্রত্যক্ষণ]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ২১৪৪
|-
|৩৬ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/মাকড়সা]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৩৯৩২
|-
|৩৭ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/প্রতিবেদন/পরিকল্পনা]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ১২৩৫
|-
|৩৮ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/জৈবচিকিৎসীয় আলট্রাসাউন্ড]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ১৮৩৬
|-
|৩৯ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/অক্টোপাস]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৬৯৭
|-
|৪০ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/মূত্রতন্ত্র]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৩০৪৭
|-
|৪১ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/ত্বক]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২৬১২
|-
|৪২ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/শ্বসনতন্ত্র]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ২১২১
|-
|৪৩ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/কোষ]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৩২৩১
|-
|৪৪ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/ফ্লোচার্ট]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৮৮৪
|-
|৪৫ || [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/তাপগতিবিদ্যা]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ৭৮০
|-
|৪৬ || [[তত্ত্ব শিখন/প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষণ: অনুশীলন]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৯০৬
|-
|৪৭ || [[সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/পরিবার]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৫৫২৫
|-
|৪৮ || [[সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/দৈনন্দিন জীবন/প্রযুক্তি/টেলিভিশন]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৫৬৪
|-
|৪৯ || [[সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/দৈনন্দিন জীবন/প্রযুক্তি/টেলিভিশন]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৫৬৪
|-
|৫০ || [[সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/শিক্ষা]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২৩৯৬
|-
|৫১ || [[রন্ধনপ্রণালী:নানরুটি]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৪৪
|-
|৫২ || [[রন্ধনপ্রণালী:ছোলার ডাল]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ১৭৭
|-
|৫৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:বাকরখানি]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৭০
|-
|৫৪ || [[অতীন্দ্রিয়বাদ/বিশ্বাস ও মস্তিষ্ক নিয়ে গবেষণা]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ১৭৭০
|-
|মোট পাতা:||৫৪||মোট শব্দ:||১২৪৯১৬
|}
== [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|১ || [[মানব শারীরতত্ত্ব/অন্তঃক্ষরা গ্রন্থিতন্ত্র]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ৭০৩৭
|-
|২ || [[জাপানের ইতিহাস: পুরাণ থেকে জাতিসত্ত্বা/মধ্য হেইয়ান যুগ]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ৯৫৬৫
|-
|৩ || [[জাপানের ইতিহাস: পুরাণ থেকে জাতিসত্ত্বা/ইয়াইয়োই যুগ]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ১০৭৪০
|-
|৪ || [[জাপানের ইতিহাস: পুরাণ থেকে জাতিসত্ত্বা/আধুনিক জাপান]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৪০৮৪
|-
|৫ || [[চিন্তন ও নির্দেশনা/সহযোগিতামূলক এবং অনুসন্ধানভিত্তিক শিখন]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৩৯৯৩
|-
|৬ || [[চিন্তন ও নির্দেশনা/শেখার জন্য প্রযুক্তি ও নকশা]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ৭৪৫৫
|-
|৭ || [[চিন্তন ও নির্দেশনা/শিখন ও স্মৃতি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৯৩৪৩
|-
|৮ || [[চিন্তন ও নির্দেশনা/মেটাকগনিশন ও স্ব-নিয়ন্ত্রিত শেখা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৫৯৪৫
|-
|৯ || [[চিন্তন ও নির্দেশনা/পড়তে শেখা]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ৭৩৩৫
|-
|১০ || [[চিন্তন ও নির্দেশনা/দীর্ঘমেয়াদী স্মৃতি]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ৫১০১
|-
|১১ || [[চিন্তন ও নির্দেশনা/গণিত শেখা]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৮৩৩৫
|-
|১২ || [[মানব শারীরতত্ত্ব/রেচনতন্ত্র]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ৫৭৫৩
|-
|১৩ || [[চিন্তন ও নির্দেশনা/এনকোডিং ও পুনরুদ্ধার]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২২৬২
|-
|১৪ || [[মানব শারীরতত্ত্ব/গর্ভধারণ ও সন্তান প্রসব]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ৮২৭২
|-
|১৫ || [[চিন্তন ও নির্দেশনা/সাংবদ্ধ মনোবিজ্ঞানের উৎপত্তি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৬৯৬৪
|-
|মোট পাতা:||১৫||মোট শব্দ:||১১২১৮৪
|}
== [[বাবহারকারী:Anisvai|Anisvai]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|১ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/কর্তব্যবাদ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৩৫
|-
|২ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/প্রয়োগবাদ]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২৪৭
|-
|৩ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/উৎস নথিভুক্তকরণ/তথ্যসূত্র]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৬৭
|-
|৪ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/পরিণামবাদ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩৫৪
|-
|৫ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/চেতনা বিষয়ক দর্শন]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩৯১
|-
|৬ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/সামাজিক চুক্তি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৫৭
|-
|৭ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/যুক্তিবিদ্যা/জটিল সূত্র নির্মাণ]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ১০৮
|-
|৮ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/অভিজ্ঞতাবাদ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১০১
|-
|৯ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/প্রাচীন রাজনৈতিক দর্শন]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৩৪
|-
|১০ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/সৌন্দর্যবোধ]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ১৬৭
|-
|মোট পাতা:||১০||মোট শব্দ:||২০৬১
|}
== [[বাবহারকারী:SMontaha32|SMontaha32]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|১ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/কম্পিউটার মডেল/ভারসাম্যতন্ত্র সিমুলেশন]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১০৭৩
|-
|২ || [[চিন্তন ও নির্দেশনা/বিজ্ঞান শিখন ও ধারণাগত পরিবর্তন]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৪৭৪২
|-
|৩ || [[জাপানের ইতিহাস: পুরাণ থেকে জাতিসত্ত্বা/জাপানে বৌদ্ধধর্ম]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৭০৫১
|-
|৪ || [[জাপানের ইতিহাস: পুরাণ থেকে জাতিসত্ত্বা/প্রারম্ভিক হেইয়ান যুগ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৯২০৭
|-
|৫ || [[জাপানের ইতিহাস: পুরাণ থেকে জাতিসত্ত্বা/কোফুন যুগ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১১৬০৫
|-
|৬ || [[জাপানের ইতিহাস: পুরাণ থেকে জাতিসত্ত্বা/অবসানকালীন হেইয়ান যুগ]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৬৭৫
|-
|৭ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/মানব স্বররজ্জু]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৯০৬
|-
|৮ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/দৃষ্টিতন্ত্র]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১১২১৬
|-
|৯ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/ওবামা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২২২১
|-
|১০ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/ডব্লিউ. বুশ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩৪৯২
|-
|১১ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/নির্দেশাবলি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৬৪২
|-
|১২ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/নকশা/শেষাংশ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১০২৯
|-
|১৩ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/নকশা]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১০০৫
|-
|১৪ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/ধর্মতত্ত্ব]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৯৪৯
|-
|১৫ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/যুক্তিবিদ্যা/বাক্যযুক্তির আরও আনুষ্ঠানিক দৃষ্টিভঙ্গি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৯০৫
|-
|১৬ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/ব্যবসায়িক যোগাযোগ/চিঠি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৭৬৯
|-
|১৭ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/ব্যবসায়িক যোগাযোগ/ওয়েবসাইট]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৯৮০
|-
|১৮ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/প্রকল্প ব্যবস্থাপনা/দলসমূহ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৬২১
|-
|১৯ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/অলঙ্করণ/অনুমান]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৮২২
|-
|২০ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/ব্যবসায়িক যোগাযোগ/মেমো]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১২৭১
|-
|২১ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/প্রস্তাবনা]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৭৭৯
|-
|২২ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/সম্ভাব্যতা]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৭৬৭
|-
|২৩ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/উপস্থাপনা]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩৪১৯
|-
|২৪ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/নৈতিকতা/সংস্কৃতি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৩০৪
|-
|২৫ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/নকশা/ব্যবহারযোগ্যতা]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ১৩০৯
|-
|২৬ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/পেশা/জীবনবৃত্তান্ত]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ২৫৩১
|-
|২৭ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/পেশা/কাভার লেটার]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২১৭২
|-
|২৮ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/পেশা]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৭৯৮
|-
|২৯ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/প্রকল্প ব্যবস্থাপনা]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ৭৬৭
|-
|৩০ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/পেশাদার লেখনী সম্বন্ধে]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ৫২৯
|-
|৩১ || [[সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/সাধারণ সমাজতাত্ত্বিক তত্ত্ব]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৫১
|-
|৩২ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/বাদুড় ও ডলফিনের ইকোলোকেশন]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৫৭৭
|-
|৩৩ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/চলন্ত কয়েল লাউডস্পিকার]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৫৯৮
|-
|৩৪ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/আলট্রাসনিক মাধ্যমের জন্য নতুন শব্দ ফিল্টার]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৪৮১
|-
|৩৫ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/ডিজিটাল নিয়ন্ত্রণের ভূমিকা]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৩৭০
|-
|৩৬ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/পোল ও জিরো]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৭০২
|-
|৩৭ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/স্টেট-স্পেস স্থিতিশীলতা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৮১৬
|-
|৩৮ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/সিস্টেম শনাক্তকরণ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১০৮১
|-
|৩৯ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/সিস্টেম মেট্রিক্স]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৫৩৪
|-
|৪০ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/স্টেট-স্পেস সমীকরণ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৪৫৬
|-
|৪১ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/পিজোইলেকট্রিক ট্রান্সডিউসার]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৬৫৯
|-
|৪২ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/স্ব-সমন্বয়ী হেলমহোল্টজ অনুরণকের সাহায্যে কোলাহল নিয়ন্ত্রণ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১১৬৫
|-
|৪৩ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/কম্পিউটার মডেল/শ্রবণতন্ত্র সিমুলেশন]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৩৪৯৩
|-
|৪৪ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/সময় ভেদে পরিবর্তনশীল সিস্টেম সমাধান]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৮৩৮
|-
|৪৫ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/রাষ্ট্রপতিরা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২১৬১
|-
|৪৬ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/ভারসাম্যতন্ত্রের অঙ্গসংস্থান]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৭৪২
|-
|৪৭ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/অন্যান্য প্রাণী]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩০৪৬
|-
|৪৮ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/বিপ্লবের পথে]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৪৪৭৬
|-
|৪৯ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/আইজেনহাওয়ার নাগরিক অধিকার পঞ্চাশের দশক]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৩৯৩৪
|-
|৫০ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/স্নায়ুসংবেদী ইমপ্লান্ট]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৫১৫৫
|-
|৫১ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/প্রাক-কলম্বীয়]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৪১৯
|-
|৫২ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/আবিষ্কারের যুগ ও গিল্ডেড যুগ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩২৫৯
|-
|৫৩ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/স্প্যানিশ গৃহযুদ্ধ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৪৪০
|-
|৫৪ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/সংবিধানের প্রাথমিক বছরগুলি]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৭৭৯
|-
|৫৫ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/পুনর্গঠন]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৩৯০৩
|-
|৫৬ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/ইংরেজ উপনিবেশ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩৬৫২
|-
|৫৭ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/সামুদ্রিক প্রাণী]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৮৪২
|-
|৫৮ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/ভারসাম্যতন্ত্র]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১২৫৩
|-
|৫৯ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/স্নায়ুসংবেদী ইমপ্লান্ট/ভবিষ্যতের দিকনির্দেশনা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৪২৮
|-
|৬০ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/কম্পিউটার মডেল/স্নায়বিক সিমুলেশন]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৪৪৬২
|-
|৬১ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/বোডি চিত্র]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ১০৪০
|-
|৬২ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/ফিল্টার ডিজাইন ও বাস্তবায়ন]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৯২৭
|-
|৬৩ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/পতঙ্গ/হ্যালটেরেস]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৫৯৮
|-
|৬৪ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/বহুসংবেদী একত্রীকরণ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৬৯১
|-
|৬৫ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/পাখি/চৌম্বক উপলব্ধি]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩৫৭৯
|-
|৬৬ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/কম্পিউটার মডেল/ঘ্রাণতন্ত্র সিমুলেশন]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৪৭২
|-
|৬৭ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/দৃষ্টিতন্ত্র/দৃষ্টিতন্ত্রের আন্তঃপ্রজাতি তুলনা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৪২৭
|-
|৬৮ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/হাঙ্গর]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২০৭৪
|-
|৬৯ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/অ-প্রাইমেট পাখির গান]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৭৯৯
|-
|৭০ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/স্নায়ুসংবেদী ইমপ্লান্ট/কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৪৩১
|-
|৭১ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/কম্পিউটার মডেল/বাক্ প্রত্যক্ষণ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৮৩২
|-
|৭২ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/ব্যথার শারীরবিদ্যা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৯৩৩
|-
|৭৩ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/দেহসংবেদী তন্ত্রে স্পর্শলোম]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৫৩০
|-
|৭৪ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/অন্যান্য প্রাণী/ইকোলোকেশনকারী দাঁতযুক্ত তিমি]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৭০৫
|-
|৭৫ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/দৃষ্টিতন্ত্র/ইন ভিভো ইমেজিং]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৯৮০
|-
|৭৬ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/দৃষ্টিতন্ত্র/পুরাতন/সংবেদী অঙ্গের উপাদান]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৮৬৪
|-
|৭৭ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/স্নায়ুসংবেদী ইমপ্লান্ট/ভবিষ্যতের দিকনির্দেশনা/অপটোজেনেটিক্স]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৯১৫
|-
|৭৮ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/স্নায়ুসংবেদী ইমপ্লান্ট/ভেস্টিবুলার ইমপ্লান্ট]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৫৪৭
|-
|৭৯ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/স্নায়ুসংবেদী ইমপ্লান্ট/ভেস্টিবুলার ইমপ্লান্ট]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৫৪৭
|-
|৮০ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/স্নায়ুসংবেদী ইমপ্লান্ট/রেটিনাল ইমপ্লান্ট]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৩৯৭০
|-
|৮১ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/লসিকা তন্ত্র]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৮৩৩
|-
|৮২ || [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/লম্ব বল ও ঘর্ষণ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৭৫৪
|-
|৮৩ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/শব্দকোষ/গ-ঘ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৮১
|-
|৮৪ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/শব্দকোষ/থ-ধ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৯৮
|-
|৮৫ || [[সাধারণ বলবিজ্ঞান/নিয়ন্ত্রিত গতি]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৬০৮
|-
|৮৬ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/শব্দকোষ/ক-খ]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৮১
|-
|৮৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:মাছের টিক্কি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৩০
|-
|৮৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:রস পিঠা]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২২৩
|-
|৮৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:কুমড়ো ঘন্ট]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২১২
|-
|৯০ || [[রন্ধনপ্রণালী:আমের টক]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৫৬
|-
|৯১ || [[রন্ধনপ্রণালী:মিষ্টি পুলি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৮৩
|-
|৯২ || [[রন্ধনপ্রণালী:গোমাংস ভুনা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২০৩
|-
|৯৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:সবজি নুডলস]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২১০
|-
|৯৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:মাংসের চচ্চড়ি]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২১১
|-
|৯৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:বিফ স্যুপ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৯৫
|-
|৯৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:লাল সেমাই]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৯৮
|-
|৯৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:কোরমা খিচুড়ি]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৭৭
|-
|৯৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:পাবদা মাছের ঝোল]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২০৭
|-
|৯৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:গরুর রেজালা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৯৪
|-
|১০০ || [[রন্ধনপ্রণালী:মুরগির কাটলেট]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৬৭
|-
|১০১ || [[রন্ধনপ্রণালী:চাপাটি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৯১
|-
|১০২ || [[রন্ধনপ্রণালী:বিফ কালিয়া]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৬৩
|-
|১০৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:মুরগি ভুনা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৩৪
|-
|১০৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিকেন কারি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৫৩
|-
|১০৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:নান রুটি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৬৮
|-
|১০৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:বুটের বড়া]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৪৪
|-
|১০৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:মুগডালের বড়া]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৩৬
|-
|১০৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:মুরগির কোপ্তা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩১৯
|-
|১০৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:শসা ভর্তা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৮২
|-
|১১০ || [[রন্ধনপ্রণালী:মটর ডাল]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২১৮
|-
|মোট পাতা:||১১০||মোট শব্দ:||১৮০১১৮
|}
== [[বাবহারকারী:RDasgupta2020|RDasgupta2020]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|১ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/MIMO সিস্টেম]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১০৫০
|-
|২ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/ম্যাট্রিক্স অপারেশন]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১২৩৫
|-
|৩ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/ওপেন সোর্স টুল/সাইল্যাব]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৭০৮
|-
|৪ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/বাস্তবায়ন]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৪৮৭
|-
|৫ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/সিস্টেম বিলম্ব]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৯৩৪
|-
|৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:চাল পটল]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৪৪
|-
|৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:সর্ষে ফুলের বড়া]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৮১
|-
|৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:দুধ মুগ পটল]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৪২
|-
|৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:গন্ধরাজ পটল]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২০৭
|-
|১০ || [[রন্ধনপ্রণালী:হিং-এর কচুরি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৬৫
|-
|১১ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিংড়ি মাছের বিরিয়ানি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৩৭
|-
|১২ || [[রন্ধনপ্রণালী:পমফ্রেট সর্ষে পোস্ত]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৫৫
|-
|১৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:কুমড়োর বড়া]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২০২
|-
|১৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:বকফুলের বড়া]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৩৯
|-
|১৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিচিঙ্গা ভর্তা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৩১
|-
|১৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিংড়ির পুরভরা বেগুনভাজা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৪৭
|-
|১৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:রুই মাছ ভুনা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৭২
|-
|১৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:মোচার পুর দিয়ে পাটিসাপটা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৪১২
|-
|১৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:মালাই পাবদা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৩৪
|-
|২০ || [[রন্ধনপ্রণালী:গন্ধরাজ ঘোল পোলাও]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৪১৪
|-
|২১ || [[রন্ধনপ্রণালী:গন্ধরাজ ভাপা মাছ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৪১৪
|-
|২২ || [[রন্ধনপ্রণালী:কাঁচা আমের চিলি চিকেন]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৪৯
|-
|২৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:তিল পটল]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৫৬
|-
|২৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:পোস্ত দিয়ে পাঁঠার মাংস]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৯৮
|-
|২৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:ডিম বেগুনের ভর্তা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৯০
|-
|২৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:মুলো ছেঁচকি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৫৮
|-
|২৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:লাউ ছেঁচকি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৭২
|-
|২৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:লেবুর কাজি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২১৭
|-
|২৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:ডাবের জল আর শাঁস দিয়ে পুডিং]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৪২
|-
|৩০ || [[রন্ধনপ্রণালী:কাঁচা আম দিয়ে পনির ভাপা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৫১
|-
|৩১ || [[রন্ধনপ্রণালী:তেঁতুলের শরবত]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৭০
|-
|৩২ || [[রন্ধনপ্রণালী:বেলের পানার শরবত]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৬৬
|-
|৩৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:পুর ভরা ঝিঙে]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৭৪
|-
|৩৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:পোস্তর বাটিচচ্চড়ি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৫৮
|-
|৩৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:ইলিশের একচড়া]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩১৭
|-
|৩৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:মুলোর ঘণ্ট]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৩৫
|-
|৩৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:কমলালেবু দিয়ে কই মাছ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৪০২
|-
|৩৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:সজনে ডাঁটার পোড়া ভর্তা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৭৮
|-
|৩৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:ছানার চচ্চড়ি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৫৬
|-
|৪০ || [[রন্ধনপ্রণালী:ডিম সর্ষে]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২০৬
|-
|৪১ || [[রন্ধনপ্রণালী:দুধ লাউ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৩০
|-
|৪২ || [[রন্ধনপ্রণালী:কুমড়োর ছেঁচকি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৫৮
|-
|৪৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:এঁচোড়ের বিরিয়ানি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৪৫৭
|-
|৪৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:কুমড়ো ভাপা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২০৩
|-
|৪৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:কুদরির তরকারি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২১৬
|-
|৪৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:বোয়াল মাছের কষা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩২০
|-
|৪৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:শিং মাছ ভুনা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২০৭
|-
|৪৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:বোয়াল মাছের তেল ঝাল]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩১১
|-
|৪৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:ঢেঁড়স আলুর তরকারি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৭৪
|-
|৫০ || [[রন্ধনপ্রণালী:চন্দ্রপুলি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৮৫
|-
|৫১ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/সিস্টেম উপস্থাপন]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৬৩
|-
|৫২ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/সিস্টেম মডেলিং]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১২৩৯
|-
|৫৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:মোহন ভোগ মিষ্টি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৪৭৫
|-
|৫৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:বৈকুন্ঠ ভোগ মিষ্টি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৫০
|-
|৫৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:দিলখুশ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৩৮
|-
|৫৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:আমসত্ত্ব সন্দেশ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২০৩
|-
|৫৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:পাকা আমের কালাকান্দ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩১৯
|-
|৫৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:ইলিশ পেটি সন্দেশ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩০৭
|-
|৫৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:মতিচুরের পায়েস]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২০৯
|-
|৬০ || [[রন্ধনপ্রণালী:মনোহরা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩০৫
|-
|৬১ || [[রন্ধনপ্রণালী:মেচা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৪৭
|-
|৬২ || [[রন্ধনপ্রণালী:কলার থোড়ের ঘন্ট]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৬৫
|-
|৬৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:হালিম]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৪৭৬
|-
|৬৪ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/আধুনিক নিয়ন্ত্রণ]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ১১৩
|-
|৬৫ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/টারবাইন ব্লেডের শব্দ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৯৮৬
|-
|৬৬ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/বেসেল ফাংশন ও কেটলড্রাম]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১১৫৫
|-
|৬৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:কলার থোড়ের চচ্চড়ি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৯৬
|-
|৬৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:ল্যাটা মাছের বাটি পোড়া]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৬৩
|-
|৬৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:ল্যাটা মাছের ঝাল]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৯৬
|-
|৭০ || [[রন্ধনপ্রণালী:মোচার পাতুরি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩২১
|-
|৭১ || [[রন্ধনপ্রণালী:শিউলি পাতার বড়া]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩০৬
|-
|৭২ || [[রন্ধনপ্রণালী:মোচার চপ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৭০
|-
|৭৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:ডুমুরের তরকারি]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৬২
|-
|৭৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:ঝিঙে বাটা]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৫৮
|-
|৭৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:মাছের ডিম ভাপা]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৭০
|-
|৭৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:কুমড়োর ছক্কা]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৬৪
|-
|৭৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:ঝিঙে জলবড়া]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৫৮
|-
|৭৮ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/রৈখিক সিস্টেম সমাধান]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৩৭৩
|-
|৭৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:বাসন্তী পোলাও]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৬৮
|-
|৮০ || [[রন্ধনপ্রণালী:কাতলা মাছের রেজালা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৪০৫
|-
|৮১ || [[রন্ধনপ্রণালী:শিম চিংড়ি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৩১
|-
|৮২ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/শৈলীর নির্দেশিকা]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৩৬৯
|-
|৮৩ || [[রাজনৈতিক যোগাযোগের উপাদান/সাধারণ নির্দেশিকা/শব্দ]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ১৩১
|-
|৮৪ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/বলকৃত দোলন (সাধারণ স্প্রিং-ভর সিস্টেম)]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ২৯৩
|-
|৮৫ || [[রাজনৈতিক যোগাযোগের উপাদান/সাধারণ নির্দেশিকা/গুরুত্ব]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ১৪২
|-
|৮৬ || [[রাজনৈতিক যোগাযোগের উপাদান/সাধারণ নির্দেশিকা/বিন্যাস]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ২২১
|-
|৮৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:ঝিঙে আলু পোস্ত]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৮৬
|-
|৮৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:দইয়ের মালপোয়া]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৯৭
|-
|৮৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:মানকচুর জিলিপি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৪১
|-
|৯০ || [[রন্ধনপ্রণালী:মিষ্টি কুমড়ার পায়েস]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৮৯
|-
|৯১ || [[রন্ধনপ্রনালী:শিমের ঝাল]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৪০
|-
|৯২ || [[রন্ধনপ্রনালী:শিম পোস্ত]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৯৬
|-
|৯৩ || [[রন্ধনপ্রনালী:শিমের ঝোল]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৮৪
|-
|৯৪ || [[রন্ধনপ্রনালী:শিম বেগুনের তরকারি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩১৩
|-
|৯৫ || [[রাজনৈতিক যোগাযোগের উপাদান/ডিজিটাল মিডিয়া নির্দেশিকা/ওয়েবসাইট]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৫২২
|-
|৯৬ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/সমাধান পদ্ধতি: তড়িৎ-যান্ত্রিক সাদৃশ্য]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৪০৮
|-
|৯৭ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/সমতল তরঙ্গের প্রতিফলন ও সঞ্চালন]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৭০৬
|-
|৯৮ || [[রাজনৈতিক যোগাযোগের উপাদান/সাধারণ নির্দেশিকা/সংক্ষিপ্ততা]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ১৩৩
|-
|৯৯ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/অবমন্দিত যান্ত্রিক সিস্টেমের বৈশিষ্ট্যনির্ণয়]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৫৯৭
|-
|১০০ || [[উইকিশৈশব:কণা/পদার্থের তিন দশা]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৮৮
|-
|১০১ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/সমতলীয় তরঙ্গের প্রতিফলন ও সঞ্চালন]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৭৩৩
|-
|১০২ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/তড়িৎ-যান্ত্রিক সাদৃশ্যের সমাধান পদ্ধতি]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৪৪১
|-
|১০৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:ছানার পাতুরি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩৪৯
|-
|১০৪ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/তড়িৎ-যান্ত্রিক সাদৃশ্য]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৯৬৭
|-
|১০৫ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/ফিল্টার ডিজাইনের প্রস্তাবনা]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২১০
|-
|১০৬ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/সীমান্ত শর্তাবলী ও বলকৃত কম্পন]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৯৫৯
|-
|১০৭ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/চলন্ত অনুরণক]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ১৫৯
|-
|১০৮ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/অরৈখিকতার শব্দীয় পরামিতি]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ১০৪৫
|-
|১০৯ || [[উইকিশৈশব:কণা/কণার মডেল]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৩৯৬
|-
|১১০ || [[উইকিশৈশব:কণা/গ্যাসের চাপ]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৬৭৫
|-
|১১১ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/সীমান্ত শর্তাবলী ও তরঙ্গের বৈশিষ্ট্য]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৭৭৫
|-
|১১২ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিংড়ি মুসুড়ি ভর্তা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩২০
|-
|১১৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:গোলবাড়ির মাংস]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৪৫৯
|-
|১১৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:মাটনের কবিরাজি কাটলেট]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৪২৩
|-
|১১৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:ভেটকি মাছের কবিরাজি কাটলেট]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩৫০
|-
|১১৬ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/ফাইল এক্সটেনশন দেখানো/লুকানো]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৩৪৪
|-
|১১৭ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/সুইফট ভেরিয়েবল উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২৪২
|-
|১১৮ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/সি-শার্প ভেরিয়েবল উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২৮০
|-
|১১৯ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/পর্যালোচনা: ফাউন্ডেশন টপিকস গ্রুপ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৪৬
|-
|১২০ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিংড়ি কাবাব]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৮৩
|-
|১২১ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/অনুশীলন: অবজেক্ট-ওরিয়েন্টেড প্রোগ্রামিং]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৪২৪
|-
|১২২ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/অবজেক্ট-ওরিয়েন্টেড প্রোগ্রামিং]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৬১
|-
|১২৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:তেঁতুলে চিংড়ি]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩৩৯
|-
|১২৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:ভেটকি রোস্ট]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩৭৮
|-
|১২৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:তেল কই]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৮৯
|-
|১২৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:বোরোলি মাছের পাতুরি]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৬৯
|-
|১২৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:শসা চিংড়ির কারি]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৫৭
|-
|১২৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:বোরোলি মাছের তেল-ঝাল]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৮৯
|-
|১২৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:কই মাছের হরগৌরী]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩৫৫
|-
|১৩০ || [[রন্ধনপ্রনালী:টঙ্কা তোরানি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৭৮
|-
|১৩১ || [[রন্ধনপ্রনালী:কাঁচা আম দিয়ে পটলের চচ্চড়ি]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৫৭
|-
|১৩২ || [[রন্ধনপ্রনালী:ভেটকি মাছের চারমৌলি]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৬১
|-
|১৩৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিংড়ি পোস্তো]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৬৪
|-
|১৩৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:গলদা চিংড়ি রসা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৯২
|-
|১৩৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিতল মাছের তেল ঝাল]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৬১
|-
|১৩৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিতল মাছের কালিয়া]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩৩৯
|-
|১৩৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিতল মাছের রসা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৮২
|-
|১৩৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:তন্দুরি চিংড়ি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩৬০
|-
|১৩৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:এঁচড় চিংড়ি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৯৪
|-
|১৪০ || [[রন্ধনপ্রণালী:ইলিশ কাবাব]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩১৩
|-
|১৪১ || [[রন্ধনপ্রণালী:ইলিশ মাছের মালাইকারি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৩৫
|-
|১৪২ || [[রন্ধনপ্রনালী:আমের ফিরনি]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৬৯
|-
|১৪৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিংড়ি কচু]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ৩০০
|-
|১৪৪ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/সিলেকশন কন্ট্রোল স্ট্রাকচার]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৪৭৩
|-
|১৪৫ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/পর্যালোচনা: উন্নত বিষয় গ্রুপ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৪৫
|-
|১৪৬ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/গুরুত্বপূর্ণ প্রাথমিক চলকসমূহ]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৭৩৯
|-
|১৪৭ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/ইউনারি অপারেশন]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৬৯২
|-
|১৪৮ || [[রন্ধনপ্রনালী:খস খস শরবত]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৪০
|-
|১৪৯ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/প্যারামিটার এবং আর্গুমেন্ট]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৭৫৪
|-
|১৫০ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/পর্যালোচনা: মডুলার প্রোগ্রামিং গ্রুপ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৪৬
|-
|১৫১ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/পর্যালোচনা: স্ট্রাকচার্ড প্রোগ্রামিং গ্রুপ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৬৮
|-
|১৫২ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিতল মাছের মুইঠ্যা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৩৩
|-
|১৫৩ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/ফিল্টার ডিজাইনের রূপরেখা]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৯১
|-
|১৫৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:ভেটকি বেগম বাহার]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩২১
|-
|১৫৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:ফুলকপি সর্ষে]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৩৭
|-
|১৫৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:বোরোলি মাছের চচ্চড়ি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৩১
|-
|১৫৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:বোরোলি মাছের ঝোল]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩১৫
|-
|১৫৮ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/অনুশীলন: স্ট্রিং এবং ফাইল]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ১৪৮৫
|-
|১৫৯ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/অ্যারে অনুসন্ধান]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৫২৫
|-
|১৬০ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিংড়ি কাসুন্দি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৭২
|-
|১৬১ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিংড়ি মুগের ডাল]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৮৪
|-
|১৬২ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/অনুশীলন: স্ট্যান্ডার্ড লাইব্রেরি]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৫১১
|-
|১৬৩ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/ফাংশনের জন্য স্যুডোকোড উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ২২৫
|-
|১৬৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:সাদা ইলিশ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৭৩
|-
|১৬৫ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/অনুশীলন: নির্দিষ্ট কাজের ফাংশন]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৬৮১
|-
|১৬৬ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/স্ট্যান্ডার্ড লাইব্রেরি]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ১১২০
|-
|১৬৭ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/রিটার্ন স্টেটমেন্ট]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৫৮৬
|-
|১৬৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:কলমি চিংড়ি ভাজা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৭৬
|-
|১৬৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:রন্ধনপ্রণালী:ভেটকি পোস্তো]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৬৪
|-
|১৭০ || [[রন্ধনপ্রণালী:খেজুর চিংড়ি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৮৮
|-
|১৭১ || [[রন্ধনপ্রণালী:ইলিশ মাছের মুড়িঘন্ট]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৩৮
|-
|১৭২ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিংড়ি মাছের ঘুগনি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩১৩
|-
|১৭৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:আম চিংড়ী]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৩৪
|-
|১৭৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিংড়ি মধুক্ষীরা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৫৯
|-
|১৭৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:শিংমাছে করোলা চচ্চড়ি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৯০
|-
|১৭৬ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/নেস্টেড ইফ দেন এলস]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৪৯৩
|-
|১৭৭ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/বহুমাত্রিক অ্যারে]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৬৭৮
|-
|১৭৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:লাউপাতার খিলিতে কাচকি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩১৫
|-
|১৭৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:রুপচাদা দোপেঁয়াজা]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩১৬
|-
|১৮০ || [[রন্ধনপ্রণালী:মাছের ডিমের পুঁইখিলি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৬৭
|-
|১৮১ || [[রন্ধনপ্রণালী:কই মাছের দোপেঁয়াজা]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৮৪
|-
|১৮২ || [[রন্ধনপ্রণালী:দোমাছা]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৮১
|-
|১৮৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:গোকুল পিঠে]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৬৯
|-
|১৮৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:ছানা গজা]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৭১
|-
|১৮৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:ছানাবড়া]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩৩৭
|-
|১৮৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:রসাবলী]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৩৬
|-
|১৮৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:সাগর দই]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৮১
|-
|১৮৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:ছানার জিলিপি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৬৭
|-
|১৮৯ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/মডুলার প্রোগ্রামিং]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ২১৫৪
|-
|১৯০ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/ইনপুট-প্রসেস-আউটপুট মডেল]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৪৮৩
|-
|১৯১ || [[রন্ধনপ্রণালী:পেঁয়াজের পায়েস]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৬৬
|-
|১৯২ || [[রন্ধনপ্রণালী:মালাই সন্দেশ]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২১২
|-
|১৯৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:রাজভোগ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩১৪
|-
|১৯৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:সজনে ফুল ভাজি]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২৩৪
|-
|১৯৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:নটিশাক]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২২৪
|-
|১৯৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:ঘি ভাত]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২৭৪
|-
|১৯৭ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/হায়ারার্কি বা স্ট্রাকচার চার্ট]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩৬৪
|-
|১৯৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:ঘন দুধের সন্দেশ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩৭৩
|-
|১৯৯ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/আইডেন্টিফায়ারের নাম]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৪১১
|-
|২০০ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/ইনপুট এবং আউটপুট]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ৪৩২
|-
|২০১ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/ফাইল ইনপুট এবং আউটপুট]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ১৯৫৫
|-
|২০২ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/ব্রাঞ্চিং স্টেটমেন্ট]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ২১৫০
|-
|মোট পাতা:||২০২||মোট শব্দ:||৮১৩৮৫
|}
== [[বাবহারকারী:Firuz Ahmmed|Firuz Ahmmed]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|১ || [[জাপানের ইতিহাস: পুরাণ থেকে জাতিসত্ত্বা/মেইজি যুগ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩১৯৩
|-
|২ || [[জাপানের ইতিহাস: পুরাণ থেকে জাতিসত্ত্বা/দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩০০২
|-
|৩ || [[জাপানের ইতিহাস: পুরাণ থেকে জাতিসত্ত্বা/এদো যুগ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩০৩৭
|-
|৪ || [[জাপানের ইতিহাস: পুরাণ থেকে জাতিসত্ত্বা/কেম্মু পুনরুদ্ধার]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১২৯১
|-
|৫ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/উদারবাদ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৪৩১
|-
|৬ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/মার্ক্স ও মার্ক্সবাদীরা]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২৬২
|-
|৭ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/যুক্তিবিদ্যা/আনুষ্ঠানিক যুক্তি]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৪৮
|-
|৮ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/অতীন্দ্রিয়বাদী ধর্মতত্ত্ব ও অতীন্দ্রিয়বাদ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২২০
|-
|৯ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/বিজ্ঞান দর্শন]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৫০৪
|-
|১০ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/নকশা/নথির বিন্যাস]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৬৯৭
|-
|১১ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/প্রাথমিক ধারণা/পুনর্লিখন]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২২১৯
|-
|১২ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/স্টেট ফিডব্যাক]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৭৮৫
|-
|১৩ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/ওপেন সোর্স টুল/জুলিয়া]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ৪১৮
|-
|১৪ || [[ত্রিমাত্রিক মুদ্রণ/রক্ষণাবেক্ষণ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৬
|-
|১৫ || [[ত্রিমাত্রিক মুদ্রণ/ইতিহাস]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৯২
|-
|১৬ || [[ত্রিমাত্রিক মুদ্রণ/ব্যবহৃত উপকরণ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩৫৮
|-
|১৭ || [[ত্রিমাত্রিক মুদ্রণ/উন্নয়ন]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ২২
|-
|১৮ || [[ত্রিমাত্রিক মুদ্রণ/রঙিন মুদ্রণ]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ১৩৫
|-
|১৯ || [[ত্রিমাত্রিক মুদ্রণ/প্রয়োগসমূহ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৭৫
|-
|২০ || [[ত্রিমাত্রিক মুদ্রণ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১১৯
|-
|২১ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/কক্ষের মৌলিক শব্দীয় ব্যবস্থাপনা]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৮৯২
|-
|২২ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/কম্পিউটার মডেল/দেহসংবেদী তন্ত্র সিমুলেশন]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৮৯৪
|-
|২৩ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/মারিম্বার মৌলিক শব্দবিজ্ঞান]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৯৬৬
|-
|২৪ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/মাইক্রোফোন কৌশল]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৪৫০
|-
|২৫ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/অনুমানকারী ও পর্যবেক্ষক]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৮৯০
|-
|২৬ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/ঘ্রাণতন্ত্র/সংবেদী অঙ্গ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৭০
|-
|২৭ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/রোটার-স্টেটর মিথস্ক্রিয়া]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৫২৩
|-
|২৮ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/শব্দতরঙ্গের অ্যাটেনুয়েশন]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৬৩৪
|-
|২৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:মিল্লি ভাত]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৪৪২
|-
|৩০ || [[কোয়ান্টাম জগৎ/প্রভাব ও প্রয়োগ/অস্পষ্ট অবস্থান কীভাবে আরও অস্পষ্ট হয়]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ২৭৪
|-
|৩১ || [[কোয়ান্টাম জগৎ/প্রভাব ও প্রয়োগ/সময়স্বাধীন শ্রোডিনগার সমীকরণ]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৮৫
|-
|৩২ || [[কানাডায় শরনার্থী প্রক্রিয়া/আচরণবিধি]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ১৮৪৫
|-
|৩৩ || [[উইকিশৈশব:চলো নাইকার গুহাতে স্ফটিকীকরণ নিয়ে কথা বলি/১৫ - এখন তুমি জানো কীভাবে স্ফটিক তৈরি হয়েছে]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৬৯
|-
|৩৪ || [[উইকিশৈশব:চলো নাইকার গুহাতে স্ফটিকীকরণ নিয়ে কথা বলি/১৪ - উভয় গুহায় তাপমাত্রা]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৮৪
|-
|৩৫ || [[উইকিশৈশব:চলো নাইকার গুহাতে স্ফটিকীকরণ নিয়ে কথা বলি/১৩ - স্ফটিকের গুহায় স্ফটিক গঠন]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৯৯
|-
|৩৬ || [[উইকিশৈশব:চলো নাইকার গুহাতে স্ফটিকীকরণ নিয়ে কথা বলি/১১ - অণুগুলো স্তরে স্তরে একত্রিত হয়]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৮১
|-
|৩৭ || [[উইকিশৈশব:চলো নাইকার গুহাতে স্ফটিকীকরণ নিয়ে কথা বলি/১০ - জিপসাম স্ফটিকের পরমাণু ও অণু]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৯০
|-
|৩৮ || [[উইকিশৈশব:চলো নাইকার গুহাতে স্ফটিকীকরণ নিয়ে কথা বলি/৮ - কাচ ও স্ফটিকের অণু]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৮৩
|-
|৩৯ || [[উইকিশৈশব:চলো নাইকার গুহাতে স্ফটিকীকরণ নিয়ে কথা বলি/৭ - সবকিছু পরমাণু দিয়ে গঠিত]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৭৭
|-
|৪০ || [[উইকিশৈশব:চলো নাইকার গুহাতে স্ফটিকীকরণ নিয়ে কথা বলি/৬ - কাচ ও স্ফটিক]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৭৩
|-
|৪১ || [[উইকিশৈশব:চলো নাইকার গুহাতে স্ফটিকীকরণ নিয়ে কথা বলি/৫ - উভয় গুহায় জিপসাম স্ফটিক]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৬৭
|-
|৪২ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/জেফারসনীয় গণতন্ত্র]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ২১২০
|-
|৪৩ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/ধর্মীয় আন্দোল]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৯৩৯
|-
|৪৪ || [[উইকিশৈশব:চলো নাইকার গুহাতে স্ফটিকীকরণ নিয়ে কথা বলি/৪ - স্ফটিকের গুহা]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৭০
|-
|৪৫ || [[উইকিশৈশব:চলো নাইকার গুহাতে স্ফটিকীকরণ নিয়ে কথা বলি/২ - নাইকার গুহাসমূহ]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৬৬
|-
|৪৬ || [[উইকিশৈশব:চলো নাইকার গুহাতে স্ফটিকীকরণ নিয়ে কথা বলি/৩ - তরবারির গুহা]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৬৮
|-
|৪৭ || [[কোয়ান্টাম জগৎ/প্রভাব ও প্রয়োগ/সম্ভাব্যতার প্রবাহ]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৩৪৯
|-
|৪৮ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/দৃষ্টিতন্ত্র/চিত্র প্রক্রিয়াকরণ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৭৬০
|-
|৪৯ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/সিস্টেম ডেভেলপমেন্ট লাইফ সাইকেল]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৫৫১
|-
|৫০ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/স্ট্রাকচার্ড প্রোগ্রামিং]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৬৭৪
|-
|৫১ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/সি++ ভেরিয়েবল উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৫৬০
|-
|৫২ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/জাভা ভেরিয়েবল উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৪৫৯
|-
|৫৩ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/টাইপডেফ সহ বহুমুখী কোড]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৪৩০
|-
|৫৪ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/গেইন]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৫১
|-
|৫৫ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/অনুশীলন: লুপের আগে পরীক্ষা]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৪৬০
|-
|৫৬ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/স্যুডোকোড]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৩৫৬
|-
|৫৭ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/ফ্ল্যাগ ধারণা/ওশেনিয়ার ফ্ল্যাগ]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ২৮
|-
|৫৮ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/ঘ্রাণতন্ত্র/সংবেদী অঙ্গের উপাদান]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৭৯৩
|-
|৫৯ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/স্নায়ুসংবেদী ইমপ্লান্ট/দৃষ্টি ইমপ্লান্ট]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৮৯
|-
|৬০ || [[মাধ্যমিক পদার্থবিজ্ঞান/সংক্ষিপ্ত দৃষ্টিপাত]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৪৮০
|-
|৬১ || [[মাধ্যমিক পদার্থবিজ্ঞান/পদার্থবিজ্ঞান পরীক্ষা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৮৪
|-
|৬২ || [[মাধ্যমিক পদার্থবিজ্ঞান/নিউটনের আপেল]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৭১
|-
|৬৩ || [[মাধ্যমিক পদার্থবিজ্ঞান/ঘূর্ণন গতি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৬৭
|-
|৬৪ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/ম্যানাকিন পাখির অনুরণিত পালক]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৬৯৪
|-
|৬৫ || [[মাধ্যমিক পদার্থবিজ্ঞান/সহজ দোলন]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৯৬
|-
|৬৬ || [[মাধ্যমিক পদার্থবিজ্ঞান/তরঙ্গ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৮৭
|-
|৬৭ || [[মাধ্যমিক পদার্থবিজ্ঞান/বেগ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৯৬
|-
|৬৮ || [[মাধ্যমিক পদার্থবিজ্ঞান/মহাকর্ষ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৬৬
|-
|৬৯ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/কক্ষ শব্দবিজ্ঞান ও কনসার্ট হল]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৬২৬
|-
|৭০ || [[রন্ধনপ্রণালী:চপ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৪৯
|-
|৭১ || [[রন্ধনপ্রণালী:কাচকি মাছ ভাজি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩১৫
|-
|৭২ || [[রন্ধনপ্রণালী:কাচকি মাছের চচ্চড়ি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৭৮
|-
|৭৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:লেটুস পাতা ভাজি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩২১
|-
|৭৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:সজনে পাতার ভাজি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৩৪
|-
|৭৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:কচুর লতি ভাজি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৩০
|-
|৭৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:ময়দার নুডলস]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৪৮১
|-
|৭৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:কাঁচকলার ডালনা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৭৭
|-
|৭৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:টক দই চাট]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩২৩
|-
|৭৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:ডালের চচ্চড়ি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৯৬
|-
|৮০ || [[রন্ধনপ্রণালী:সবজি মিক্স চপ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৫৩
|-
|৮১ || [[রন্ধনপ্রণালী:সবজির স্যান্ডউইচ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩১৫
|-
|৮২ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/গাড়ির মাফলার]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৯৪৮
|-
|৮৩ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/গাড়ির মাফলার: অ্যানিমেশন]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৬৪
|-
|৮৪ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/ডিজিটাল সিস্টেম]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১১৯
|-
|৮৫ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/সোনার]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৪৪
|-
|৮৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:লাল শাক ভর্তা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৪২৬
|-
|৮৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:আনারসের আচারি চিকেন]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৫৭৫
|-
|৮৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:মিষ্টি কুমড়ার চচ্চড়ি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৪৫৪
|-
|৮৯ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/শব্দের গতি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৪৪৪
|-
|৯০ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/স্বররজ্জু]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৫৯২
|-
|৯১ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/বজ্রপাতের শব্দবিজ্ঞান]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১০৯৪
|-
|৯২ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/কর্ণের যান্ত্রিক মডেলিং]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩৯
|-
|৯৩ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/উদাহরণসমূহ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩৩
|-
|৯৪ || [[কোয়ান্টাম জগৎ/আপেক্ষিকতা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৪৯৩
|-
|৯৫ || [[কোয়ান্টাম জগৎ/পরমাণু]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ৮২৯
|-
|৯৬ || [[তড়িৎচৌম্বকীয় বিকিরণ/অবলোহিত রশ্মি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১২৩
|-
|৯৭ || [[তড়িৎচৌম্বকীয় বিকিরণ/পরিমাপের এককসমূহ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩১০
|-
|৯৮ || [[তড়িৎচৌম্বকীয় বিকিরণ/বেতার তরঙ্গ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৪১০
|-
|৯৯ || [[তড়িৎচৌম্বকীয় বিকিরণ/বর্ণালীর ব্যান্ডসমূহ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৮৮
|-
|১০০ || [[তড়িৎচৌম্বকীয় বিকিরণ/ভূমিকা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৩০
|-
|১০১ || [[তড়িৎচৌম্বকীয় বিকিরণ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৬
|-
|১০২ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিংড়ি-মুগডালের খিচুড়ি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩২৮
|-
|১০৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:দই বড়া]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৪২
|-
|১০৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:ডিমের স্যান্ডউইচ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২০৮
|-
|১০৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:কাঁচা আম ভর্তা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৯৩
|-
|১০৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:লাল শাক ভাজি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২১৮
|-
|১০৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:মাছের কোপ্তা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩০৪
|-
|১০৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:সাদা পোলাও]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২২৮
|-
|১০৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:ডালের বড়া]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২০৭
|-
|১১০ || [[রন্ধনপ্রণালী:দুধ পিঠা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৫৬৯
|-
|১১১ || [[রন্ধনপ্রণালী:পুঁই শাক]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৪৪১
|-
|১১২ || [[রন্ধনপ্রণালী:নেহারি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৬৪৪
|-
|১১৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:কাঁচা কলা ভাজি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৫৫
|-
|১১৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:কচুশাক]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৫২৯
|-
|১১৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:কলমি শাক]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩১৮
|-
|১১৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:লাল শাক]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৫৩
|-
|১১৭ || [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/গতিশক্তি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১১২
|-
|১১৮ || [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/তরল]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ২৯০
|-
|১১৯ || [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/বৃত্তাকার গতি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৩১
|-
|১২০ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/কম্পাইলার ডিরেক্টিভ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৪৫৭
|-
|১২১ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/নেস্টেড লুপ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৬২৬
|-
|১২২ || [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/পদার্থবিজ্ঞানের ধ্রুবক]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৪৫
|-
|১২৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিংড়ি ভাজা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৮৪
|-
|১২৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:ডিমের ঝোল]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৯৮
|-
|১২৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিকেন সালাদ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২০৬
|-
|১২৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:ডিম সালাদ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৬০
|-
|১২৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:মাছের চপ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৫৯
|-
|১২৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:ডিম স্যুপ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৪৬
|-
|১২৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:সাদা সেমাই]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৬২
|-
|১৩০ || [[রন্ধনপ্রণালী:বিফ বার্গার]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৮৪
|-
|১৩১ || [[রন্ধনপ্রণালী:সবজি পরোটা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩১৮
|-
|১৩২ || [[রন্ধনপ্রণালী:টমেটো ভর্তা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৯৯
|-
|১৩৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:সবজি চপ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩০০
|-
|১৩৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:দুধ চিঁড়া]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৪৭
|-
|১৩৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:ডিম কারি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৫০
|-
|১৩৬ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/এল-ভ্যালু এবং আর-ভ্যালু]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৪৫৬
|-
|১৩৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:বুটের ঘুগনি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩২৪
|-
|১৩৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:মোগলাই পরোটা]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৫৭৪
|-
|১৩৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:বোয়াল মাছের ঝোল]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৩৬
|-
|১৪০ || [[রন্ধনপ্রণালী:মাগুর মাছের কালিয়া]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৮৭
|-
|১৪১ || [[রন্ধনপ্রণালী:মাগুর মাছের কালিয়া]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৮৭
|-
|১৪২ || [[রন্ধনপ্রণালী:রুই মাছের কালিয়া]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৪৭
|-
|১৪৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:রুই মাছের কালিয়া]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৪৭
|-
|১৪৪ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/টাইপডেফ - একটি উপনাম]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৪৬
|-
|১৪৫ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/স্ট্রিং এবং ফাইল]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ১৯১
|-
|১৪৬ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/স্ট্রিং ফাংশন]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৬৭
|-
|১৪৭ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/স্ট্রিং ফরম্যাটিং]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৯২
|-
|১৪৮ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/সুইফট স্ট্রিং উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৪৭০
|-
|১৪৯ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/জাভাস্ক্রিপ্ট স্ট্রিং উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৪০১
|-
|১৫০ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/জাভা স্ট্রিং উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৪৪৪
|-
|১৫১ || [[রন্ধনপ্রণালী:তেলাপিয়া মাছের ভর্তা]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২৪১
|-
|১৫২ || [[রন্ধনপ্রণালী:কাঠালের বিচির চচ্চড়ি]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৩৮
|-
|১৫৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:আমড়ার টক]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৩৩
|-
|১৫৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:আলু পুরি]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২৪৯
|-
|১৫৫ || [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/কাজ]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ৩৫২
|-
|১৫৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:পুরি]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ৩৫৮
|-
|১৫৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:পুঁটি মাছ ভাজা]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ১৯৭
|-
|১৫৮ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/অ্যারের সাহায্যে গণিত পরিসংখ্যান]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ৩১৯
|-
|১৫৯ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/লুপ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৪৪
|-
|১৬০ || [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/স্থির তরঙ্গ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৩৯
|-
|১৬১ || [[রন্ধনপ্রণালী:লাল চা]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ১৯৭
|-
|১৬২ || [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/ইলেকট্রনিক্স]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৭৮৪
|-
|১৬৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:কাঁচা মরিচ ভর্তা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩০৪
|-
|১৬৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:পেঁয়াজ ভর্তা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৮৭
|-
|১৬৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:শুকনা মরিচ ভর্তা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৫০
|-
|১৬৬ || [[সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/খেলার সমাজবিজ্ঞান]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২৩১
|-
|১৬৭ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/ইটারেশন কন্ট্রোল স্ট্রাকচার]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৯৭
|-
|১৬৮ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/সুইফট ফাংশন উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৩০
|-
|১৬৯ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/স্থির এবং ডাইনামিক অ্যারে]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৫৯
|-
|১৭০ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/স্থির এবং ডাইনামিক অ্যারে]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৫৯
|-
|১৭১ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/অ্যারে সদস্য প্রদর্শন]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ৩৯৫
|-
|১৭২ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/সুইফট শর্তের উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৩৫৮
|-
|১৭৩ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/ফাংশন]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ১২৭
|-
|১৭৪ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/ASCII ক্যারেক্টার সেট]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৯৮
|-
|১৭৫ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/নিজের জ্ঞান যাচাইয়ের উত্তরমালা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৬৫
|-
|মোট পাতা:||১৭৫||মোট শব্দ:||৭২৮২৬
|}
== [[বাবহারকারী:Md Mobashir Hossain|Md Mobashir Hossain]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|১ || [[রন্ধনপ্রণালী:মাকুন্দা পিঠা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৬৮
|-
|২ || [[উইকিশৈশব:গ্ৰাফিতিতে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান/ওই মামা না প্লিজ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১০৯
|-
|৩ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/ব্যবসায়িক যোগাযোগ/শুরু]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৩২৩
|-
|৪ || [[উইকিশৈশব:গ্ৰাফিতিতে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান/কারার ঐ লৌহকপাট]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৩৬
|-
|৫ || [[কোয়ান্টাম জগৎ/প্রভাব ও প্রয়োগ/একটি কোয়ান্টাম বাউন্সিং বল]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২৩৬
|-
|৬ || [[চিন্তন ও নির্দেশনা/ভূমিকা]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ৩১৯
|-
|৭ || [[কোয়ান্টাম জগৎ/ফেইনম্যান রুট/শেষে শ্রোডিনগার]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২৪৯
|-
|৮ || [[উইকিশৈশব:গ্ৰাফিতিতে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান/জেন জি]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৪৭
|-
|৯ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/পরিচিতি]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৫৪
|-
|১০ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/ভূমিকা]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৯২
|-
|১১ || [[উইকিশৈশব:গ্ৰাফিতিতে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান/পানি লাগবে]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৫৫
|-
|১২ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/ঘ্রাণতন্ত্র/ফেরোমোন ও ভোমেরোনাসাল তন্ত্র]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩৬১
|-
|১৩ || [[কোয়ান্টাম জগৎ/সম্ভাব্যতা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৭৬৭
|-
|১৪ || [[কোয়ান্টাম জগৎ/অনির্দিষ্ট সমাকলন]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৫৯
|-
|১৫ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/শব্দীয় লেভিটেশন]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৬১২
|-
|১৬ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/বীমফর্মিং]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৩৫
|-
|১৭ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/শব্দীয় গিটার]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ৩৮৬
|-
|১৮ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/শব্দীয় গিটার]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ৩৮৬
|-
|১৯ || [[কোয়ান্টাম জগৎ/ক্যালকুলাস]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৪০১
|-
|২০ || [[রন্ধনপ্রণালী:শিং মাছের ঝোল]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২২০
|-
|২১ || [[সাধারণ বলবিজ্ঞান/কঠিন বস্তু]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২১৬
|-
|২২ || [[রন্ধনপ্রণালী:ঢাকাই পরোটা]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২৮০
|-
|২৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:ফালুদা]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২৫৪
|-
|২৪ || [[সাধারণ বলবিজ্ঞান/আংশিক উৎপন্ন]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৩১৪
|-
|২৫ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/জাভাস্ক্রিপ্ট ভেরিয়েবল উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৫০৬
|-
|২৬ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/পাইথন ভেরিয়েবল উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৯৬
|-
|২৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:টাকি মাছ ভুনা]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২২৮
|-
|২৮ || [[সাধারণ বলবিজ্ঞান/স্থিতিবিদ্যা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৭০
|-
|২৯ || [[সাধারণ বলবিজ্ঞান/গতিবিদ্যার মৌলিক নীতিমালা]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৬৫১
|-
|৩০ || [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/শব্দ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৪৯০
|-
|৩১ || [[রন্ধনপ্রণালী:বিফ নুডলস]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৩৮
|-
|৩২ || [[মানব শারীরতত্ত্ব/রক্ত শারীরতত্ত্ব]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৪৫৪০
|-
|৩৩ || [[সাধারণ বলবিজ্ঞান/নিউটনের নিয়মের বিকল্প রূপ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৬২৯
|-
|৩৪ || [[সাধারণ বলবিজ্ঞান/নিউটনের নিয়ম ব্যবহার করে বিশ্লেষণ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৩২
|-
|৩৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:বিফ ভুনা]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৫৭
|-
|৩৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিকেন উইংস]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৯৭
|-
|৩৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিকেন ফ্রাই]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৩৮
|-
|৩৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:ডিমের পুরি]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ২৩৪
|-
|৩৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:লাচ্ছা সেমাই]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২০২
|-
|৪০ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিকেন নাগেট]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২১০
|-
|৪১ || [[রন্ধনপ্রণালী:পায়া]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৩২
|-
|৪২ || [[রন্ধনপ্রণালী:শিক কাবাব]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৬৬
|-
|৪৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:সর্ষে ইলিশ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৮৯
|-
|৪৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:বিফ রোল]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ১২৬
|-
|৪৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:রোল]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ১২৭
|-
|৪৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:রোল]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ১২৭
|-
|৪৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিকেন রোল]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৬৫
|-
|৪৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:সিঙ্গারা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৯৮
|-
|৪৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:লুচি]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৩৯
|-
|৫০ || [[রন্ধনপ্রণালী:ইলিশ ভাজা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১২২
|-
|৫১ || [[রন্ধনপ্রণালী:ইলিশ ভাজা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১২২
|-
|৫২ || [[রন্ধনপ্রণালী:বেগুনি]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৬৭
|-
|৫৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:বেগুনি]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৬৭
|-
|৫৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:বিফ তন্দুরি]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৯৬
|-
|৫৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:মুরগির তন্দুরি]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৯৪
|-
|৫৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:ডিম ভুনা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৭৮
|-
|৫৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:ডিম পোচ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৪৯
|-
|৫৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:তেহারি]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২২২
|-
|৫৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:পুঁই শাক চচ্চড়ি]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৯৮
|-
|৬০ || [[রন্ধনপ্রণালী:পেঁয়াজু]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২০৫
|-
|৬১ || [[লুইস ক্যারল/থ্রু দ্য লুকিং-গ্লাস]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২৮২
|-
|৬২ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/সি++ অবজেক্ট উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২২৪
|-
|৬৩ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/সি++ পরিচিতি উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২১২
|-
|৬৪ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/জাভাস্ক্রিপ্ট লুপ উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২৯৬
|-
|৬৫ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/পাইথন লুপ উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৯৩
|-
|৬৬ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/সি-শার্প লুপ উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২৪০
|-
|৬৭ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/সি++ লুপ উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২৭৯
|-
|৬৮ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/সি++ শর্তের উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৩১৩
|-
|৬৯ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/সি++ ফাংশন উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৩৩
|-
|৭০ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/সি-শার্প ফাংশন উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১২৯
|-
|৭১ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/পাইথন ফাংশন উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১১৯
|-
|৭২ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/পাইথন ফাংশন উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১১৯
|-
|৭৩ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/জাভা ফাংশন উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১২১
|-
|৭৪ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/জাভা ফাংশন উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১২১
|-
|৭৫ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/জাভাস্ক্রিপ্ট ফাংশন উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৮৫
|-
|৭৬ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/জাভাস্ক্রিপ্ট ফাংশন উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৮৫
|-
|৭৭ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/পাইথন শর্তের উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৫৮
|-
|৭৮ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/পাইথন শর্তের উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৫৮
|-
|৭৯ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/জাভাস্ক্রিপ্ট শর্তের উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ৩৪৭
|-
|৮০ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/জাভাস্ক্রিপ্ট শর্তের উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ৩৪৭
|-
|৮১ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/সি-শার্প শর্তের উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ২৮৪
|-
|৮২ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/জাভা শর্তের উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ২৯২
|-
|৮৩ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৯৩
|-
|৮৪ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/সি-শার্প অ্যারে উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ৪০৪
|-
|৮৫ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/সি++ অ্যারে উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ৪৯৯
|-
|৮৬ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/জাভাস্ক্রিপ্ট অ্যারে উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:Maruf|Maruf]] || ৪২৬
|-
|৮৭ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/জাভা অ্যারে উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:Maruf|Maruf]] || ৩৯৫
|-
|৮৮ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/জাভা অ্যারে উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:Maruf|Maruf]] || ৩৯৫
|-
|৮৯ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/পাইথন অ্যারে উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:Maruf|Maruf]] || ২৮৭
|-
|৯০ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/সি++ অপারেটরের সংক্ষিপ্ত অগ্রাধিকার তালিকা]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৪৮
|-
|মোট পাতা:||৯০||মোট শব্দ:||২৮৬৭০
|}
== [[বাবহারকারী:M.Asaduzzaman sahed|M.Asaduzzaman sahed]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|১ || [[সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/সমাজায়ন]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৫২৩
|-
|২ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/অন্বেষণ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৩৪৬
|-
|৩ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/কেনেডি এবং জনসন]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৫৭৯০
|-
|৪ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/ফোর্ড কার্টার রিগ্যান]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৫২২৭
|-
|৫ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/পশ্চিমমুখী সম্প্রসারণ এবং প্রকাশ্য নিয়তি]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৪০৩৭
|-
|৬ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/উন্নয়নসমূহ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২১৭৩
|-
|৭ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/প্রগতিশীল যুগ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২৬০৮
|-
|৮ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও পারমাণবিক যুগের উত্থান]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৪৬০২
|-
|৯ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/নিক্সন এবং ইন্দোচীন]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৪০০৯
|-
|১০ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/আমেরিকান বিপ্লব]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩২৩৪
|-
|১১ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/যুদ্ধ, জাতীয়তাবাদ ও বিভাজন]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৮২৭৯
|-
|১২ || [[মানব শারীরতত্ত্ব/অনাক্রম্যতন্ত্র]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৮৮৩২
|-
|১৩ || [[সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/রাজনীতি]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৩৩৬৮
|-
|১৪ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/পতঙ্গ/ঘ্রাণতন্ত্র]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৭২৩
|-
|১৫ || [[সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/প্রাতিষ্ঠানিক আচরণ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৯৭৪৯
|-
|১৬ || [[সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/গণমাধ্যম]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৬৫৮
|-
|১৭ || [[সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/প্রত্যপথগামিতা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৮৪৪
|-
|১৮ || [[সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/সামাজিক মনোবিজ্ঞান]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৯৪১০
|-
|১৯ || [[মানব শারীরতত্ত্ব/অনুভূতি]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৮৩০৮
|-
|২০ || [[সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/সামাজিক কাঠামো]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১০০৫
|-
|২১ || [[সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/স্তরীকরণ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৪১০২
|-
|২২ || [[সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/সমাজবিজ্ঞানের তত্ত্ব]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৪৭১৫
|-
|২৩ || [[সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/মানব বাস্তুসংস্থান ও পরিবেশ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৬০৩
|-
|২৪ || [[সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/গোষ্ঠী]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৬৫১৪
|-
|২৫ || [[লুইস ক্যারল/ভূমিকা]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ১৭৩
|-
|২৬ || [[লুইস ক্যারল/জ্যামিতি এবং যুক্তি]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ১৩৩
|-
|২৭ || [[লুইস ক্যারল/প্রাথমিক জীবন]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৪২২
|-
|২৮ || [[লুইস ক্যারল/রাজবংশ থেকে আগত]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২৬৩
|-
|২৯ || [[লুইস ক্যারল/বংশপরিচয়]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ১৫০১
|-
|৩০ || [[লুইস ক্যারল/বংশপরিচয়]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ১৫০১
|-
|৩১ || [[লুইস ক্যারল/অ্যালিস ইন ওয়ান্ডারল্যান্ড]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৪৬৪
|-
|৩২ || [[লুইস ক্যারল/শিশু বন্ধু ও প্রাপ্তবয়স্ক বন্ধু]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৯০১
|-
|৩৩ || [[লুইস ক্যারল/শিশু বন্ধু ও প্রাপ্তবয়স্ক বন্ধু]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৯০১
|-
|মোট পাতা:||৩৩||মোট শব্দ:||১১০৯১৮
|}
== [[বাবহারকারী:Nettime Sujata|Nettime Sujata]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|১ || [[জাপানের ইতিহাস: পুরাণ থেকে জাতিসত্ত্বা/ভূমিকা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩০০৯
|-
|২ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/নৈতিকতা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৩৫১
|-
|৩ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/প্রশ্নোত্তর]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ১৭১৮
|-
|৪ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/শব্দীয় মাইক্রো পাম্প]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৯৫৩
|-
|৫ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/শব্দীয় গিটার কীভাবে কাজ করে]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৮৪৫
|-
|৬ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/শ্রবণ সুরক্ষা]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১১৮৪
|-
|৭ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/মাইক্রোফোন ডিজাইন ও পরিচালনা]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৮৯০
|-
|মোট পাতা:||৭||মোট শব্দ:||১১৯৫০
|}
== [[বাবহারকারী:Md.Farhan Mahmud|Md.Farhan Mahmud]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|১ || [[কোয়ান্টাম জগৎ/খেলা]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২১৫
|-
|মোট পাতা:||১||মোট শব্দ:||২১৫
|}
== [[বাবহারকারী:Salil Kumar Mukherjee|Salil Kumar Mukherjee]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|১ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/সূচিপত্র]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৪৭৫
|-
|২ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/মূল বিষয়সূচি]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩৯৪
|-
|৩ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/উৎস নথিভুক্তকরণ/MLA শৈলী পাদটীকা ও অন্তটীকা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩৬১
|-
|৪ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/উৎস নথিভুক্তকরণ/MLA শৈলী সংক্ষিপ্ত উদ্ধৃতি]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৭৩
|-
|৫ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/উৎস নথিভুক্তকরণ/APA শৈলী পাঠ্যভিত্তিক উদ্ধৃতি]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৬৪
|-
|৬ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/উৎস নথিভুক্তকরণ/পাঠ্যের মধ্যে উদ্ধৃতির অবস্থান]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৪২
|-
|৭ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/উৎস নথিভুক্তকরণ/উদ্ধৃতির মৌলিক নির্দেশিকা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৩০
|-
|৮ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/উৎস নথিভুক্তকরণ/সঠিক নথিভুক্তি নির্বাচন]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১২৪
|-
|৯ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৩৮
|-
|১০ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/উৎস নথিভুক্তকরণ/উৎস নথিভুক্তির কারণ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৭৮
|-
|১১ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/গ্রন্থের ইতিহাস]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩৯৫
|-
|১২ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/প্রাথমিক ধারণা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৭৩
|-
|১৩ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/উৎসর্গ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৪১
|-
|১৪ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/হাইড্রোলিক সিস্টেমে কোলাহল]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৭০০
|-
|১৫ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/অরৈখিক সিস্টেম]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৯০
|-
|মোট পাতা:||১৫||মোট শব্দ:||৫২৭৮
|}
== [[বাবহারকারী:Farihat Mahirah|Farihat Mahirah]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|১ || [[জাপানের ইতিহাস: পুরাণ থেকে জাতিসত্ত্বা/সামরিকতন্ত্রের উত্থান]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৩৭১
|-
|মোট পাতা:||১||মোট শব্দ:||৩৭১
|}
== [[বাবহারকারী:নিয়াজ ইসলাম|নিয়াজ ইসলাম]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|১ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/যুক্তিবিদ্যা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩২৬
|-
|২ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/যুক্তিবিদ্যা/ন্যান্ড ও নর]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ১৬৩
|-
|৩ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/সম্পাদনার জন্য উপকরণ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১২০
|-
|৪ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/পাতা উল্টানোর নির্দেশনা]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৩৫
|-
|৫ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/উৎস নথিভুক্তকরণ/MLA শৈলী]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৫৪
|-
|৬ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/উৎস নথিভুক্তকরণ/APA শৈলী]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১১৭
|-
|৭ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/উৎস নথিভুক্তকরণ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৬০
|-
|৮ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/প্রচ্ছদ]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ১৪০
|-
|৯ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/লেখক/MK]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৪৮
|-
|১০ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/যুক্তিবিদ্যা/গ্রন্থপঞ্জি]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৮৩
|-
|১১ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/যুক্তিবাদ]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ১১২
|-
|১২ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/দর্শন করা বলতে কী বোঝায়?]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১০০
|-
|১৩ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/জেন বৌদ্ধধর্ম]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ১৭৬
|-
|১৪ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/মানক ফর্ম]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৮০৭
|-
|১৫ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/লেখকবৃন্দ]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৩৮
|-
|১৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:মসুর ডাল]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২২৪
|-
|১৭ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/সূচীপত্র]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৯৬
|-
|১৮ || [[সাধারণ বলবিজ্ঞান/সূচক সংজ্ঞা]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ১৩২
|-
|১৯ || [[সাধারণ বলবিজ্ঞান/বহু কণার গতি]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ১০২
|-
|২০ || [[সাধারণ বলবিজ্ঞান/মাখের নীতি]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ১৯
|-
|২১ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/প্রচ্ছদ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৪
|-
|২২ || [[সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/সামরিক বাহিনী]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১২০
|-
|২৩ || [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ৯২
|-
|২৪ || [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/পদার্থবিজ্ঞানের উদ্দেশ্য]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৬
|-
|২৫ || [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/উদ্দেশ্য]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৬৩
|-
|২৬ || [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/ঘর্ষণ সহগ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১০১
|-
|২৭ || [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/ভরকেন্দ্র]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৪
|-
|২৮ || [[লুইস ক্যারল]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৪৫
|-
|২৯ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/ভূমিকা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৮২
|-
|৩০ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/শব্দকোষ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২১
|-
|৩১ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/হৃদযন্ত্র]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ২৫
|-
|৩২ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/স্বীকৃতি]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৩৬
|-
|৩৩ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৭২
|-
|৩৪ || [[তত্ত্ব শিখন/প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষণ: আন্তঃপ্রতিষ্ঠানিক]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৪৭৩
|-
|৩৫ || [[তত্ত্ব শিখন]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৯০
|-
|মোট পাতা:||৩৫||মোট শব্দ:||৫৬৪৬
|}
== [[বাবহারকারী:Parishexplorer|Parishexplorer]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|মোট পাতা:||০||মোট শব্দ:||০
|}
== [[বাবহারকারী:Ridnin Riz|Ridnin Riz]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|১ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/উৎস নথিভুক্তকরণ/MLA শৈলী সারণি ও চিত্র]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৪১৮
|-
|মোট পাতা:||১||মোট শব্দ:||৪১৮
|}
== [[বাবহারকারী:Sheikh Mehedi Hassan|Sheikh Mehedi Hassan]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|১ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/যুক্তিবিদ্যা/ভূমিকা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৭৫১
|-
|২ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/আধ্যাত্মিক অভিজ্ঞতা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩৪৬
|-
|৩ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/জ্ঞানতত্ত্ব কী?]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৪৪১
|-
|৪ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/যুক্তিবিদ্যা/ত্রুটি নির্ণয়]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৮০
|-
|৫ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/স্বাধীনতাবাদ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২২৭
|-
|৬ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/অলঙ্করণ/অলঙ্করণাল কাঠামো]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৬৩৪
|-
|৭ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/অলঙ্করণ/লেখক]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ১৩৪২
|-
|৮ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/নির্দেশাবলি/চিত্র]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৫২৭
|-
|৯ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/সম্পদ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৭৫৮
|-
|১০ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/অলঙ্করণ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১০৩৯
|-
|১১ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/অলঙ্করণ/শ্রোতা]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৫৬৬
|-
|১২ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/অলঙ্করণ/প্রসঙ্গ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৪৭০
|-
|১৩ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/অলঙ্করণ/বিষয়]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩৩৮
|-
|১৪ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/উৎস নথিভুক্তকরণ/APA শৈলী রেফারেন্স তালিকা]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৬১৯
|-
|১৫ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/ট্রান্সফার ফাংশন]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৬১৮
|-
|১৬ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/অলঙ্করণ/উদ্দেশ্য]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৯৬৭
|-
|১৭ || [[সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/সমাজবিজ্ঞানীয় পদ্ধতি]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ৪৭৩৪
|-
|১৮ || [[সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/বিশিষ্ট সমাজবিজ্ঞানী]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২০১
|-
|১৯ || [[মানব শারীরতত্ত্ব/নারী প্রজননতন্ত্র]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৭৫৫৪
|-
|২০ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/বেস রিফ্লেক্স এনক্লোজার ডিজাইন]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ১৪৫০
|-
|২১ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/কি-ওয়ার্ড]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৩৪
|-
|২২ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকার/মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টীকাযুক্ত সংবিধান]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ৫৮৭৮
|-
|২৩ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/ঔপনিবেশিক ধর্ম]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৪৪৩
|-
|২৪ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/তৃতীয় পক্ষ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৭৫২
|-
|২৫ || [[আইবি আমেরিকা ইতিহাস]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ১৩৪৪
|-
|২৬ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/ক্লারিনেটের শব্দবিজ্ঞান]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৭৪৬
|-
|২৭ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/ম্যাটল্যাব]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৪০৬
|-
|২৮ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/শক-তরঙ্গের গুণগত বর্ণনা]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৩৯০
|-
|২৯ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/বহিরাঙ্গনে শব্দ সঞ্চালন]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২০৯১
|-
|৩০ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/রূপান্তর পরিশিষ্ট]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৭২৭
|-
|৩১ || [[কোয়ান্টাম জগৎ/ফেইনম্যান রুট/কোয়ান্টাম থেকে ধ্রুপদী]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২১৫৮
|-
|৩২ || [[কোয়ান্টাম জগৎ/আপেক্ষিকতা/লরেন্জ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৭৬৯
|-
|৩৩ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/জুরি পরীক্ষা]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৮১৬
|-
|৩৪ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/শব্দচালিত সিস্টেম]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৬৭৮
|-
|৩৫ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/নাইকুইস্ট স্থিতিশীলতা মানদণ্ড]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১১৬৫
|-
|৩৬ || [[কোয়ান্টাম জগৎ/প্রভাব ও প্রয়োগ/পর্যবেক্ষণযোগ্য ও অপারেটর]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৪৮৯
|-
|৩৭ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/গৃহযুদ্ধ]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৭৯৪৩
|-
|৩৮ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/আর্থ্রোপড/ম্যান্টিস চিংড়ি]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ৭৯৩
|-
|৩৯ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/পিজোইলেকট্রিক শব্দ সংবেদক]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১০১৩
|-
|৪০ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/সিলড বক্স সাবউফার ডিজাইন]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৮৪৯
|-
|৪১ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/শব্দকোষ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২২২৩
|-
|৪২ || [[কানাডায় শরনার্থী প্রক্রিয়া/এই লেখার সম্পর্কে]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১১৮৯
|-
|৪৩ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৮৬০
|-
|৪৪ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৮৬০
|-
|৪৫ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/পেশী]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৯৪৭
|-
|৪৬ || [[সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/সমাজবিজ্ঞানের ভিডিও]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ৬৪২
|-
|৪৭ || [[সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/কোর্স গ্রহণ]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২০
|-
|৪৮ || [[অতীন্দ্রিয়বাদ/আলোচনা]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৫৭১৯
|-
|৪৯ || [[সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/প্রযুক্তি, ইন্টারনেট ও ভার্চুয়াল জগৎ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৬৮৭
|-
|৫০ || [[সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/বার্ধক্য]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২৬৫০
|-
|৫১ || [[রন্ধনপ্রণালী:বুটের ডাল]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২১৬
|-
|৫২ || [[রন্ধনপ্রণালী:মিষ্টি কুমড়ো ভাজি]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ২২৪
|-
|৫৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:শিমের দানা ভুনা]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ২৬০
|-
|৫৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:ঢেঁড়স ভাজি]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ২১৭
|-
|৫৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:পালং শাক ভাজি]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ২২৩
|-
|৫৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:সবজি কারি]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ২৯২
|-
|৫৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:মাছের বড়া]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ২৮৬
|-
|৫৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:টমেটো সালাদ]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২০৬
|-
|৫৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:শসার সালাদ]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২০৫
|-
|৬০ || [[রন্ধনপ্রণালী:টক দই]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ১৯৩
|-
|৬১ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিকেন কোপ্তা]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৯৪
|-
|৬২ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিকেন কোপ্তা]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৯৪
|-
|৬৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:ডিম রোল]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৫৭
|-
|৬৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:গুড়ের পায়েস]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২২৭
|-
|৬৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:আনারসের চাটনি]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২২৭
|-
|৬৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:আনারসের চাটনি]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২২৭
|-
|৬৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:সেমাই পায়েস]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২০৮
|-
|৬৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:সেমাই পায়েস]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২০৮
|-
|৬৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:কুলের আচার]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৯৯
|-
|৭০ || [[রন্ধনপ্রণালী:কুলের আচার]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৯৯
|-
|মোট পাতা:||৭০||মোট শব্দ:||৭৮২০৫
|}
== [[বাবহারকারী:Anik Kanti Dey|Anik Kanti Dey]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|১ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/মূল স্থান]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ৭৯৪
|-
|২ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/নিয়ন্ত্রক ও ক্ষতিপূরণকারী]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৭৬২
|-
|৩ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/কম্পিউটার মডেল/দৃষ্টিগত তথ্য প্রক্রিয়াজাতকরণের বর্ণনামূলক সিমুলেশন]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১২৪৪
|-
|৪ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/মানব কণ্ঠস্বর উৎপাদন]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ১০৫৫
|-
|৫ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/ভূমিকা]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ৯৫৯
|-
|৬ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/সাধারণ বৈশিষ্ট্য/অ্যাসোসিয়েশন কর্টেক্স]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৫০৪
|-
|৭ || [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/ভেক্টর ও স্কেলার]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৬৯৪
|-
|৮ || [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/তরঙ্গের অতিঅংশ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৫০৩
|-
|৯ || [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/ঘূর্ণন বল]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ৪৩৮
|-
|১০ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/নিয়ন্ত্রণযোগ্যতা ও পর্যবেক্ষণযোগ্যতা]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৭৩৮
|-
|১১ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/ডিজিটাল স্টেট স্পেস]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৭৩৮
|-
|১২ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/ডিজিটাল ও এনালগ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৭৮৭
|-
|মোট পাতা:||১২||মোট শব্দ:||৯২১৬
|}
== [[বাবহারকারী:Prerana Hatua|Prerana Hatua]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|১ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/সিস্টেম নির্দিষ্টকরণ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৩২
|-
|মোট পাতা:||১||মোট শব্দ:||১৩২
|}
== [[বাবহারকারী:Sagar Mahmud 1122|Sagar Mahmud 1122]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|১ || [[রাজনৈতিক যোগাযোগের উপাদান/প্রচলিত মিডিয়া নির্দেশিকা/সংবাদ বিজ্ঞপ্তি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৬২৮
|-
|২ || [[রাজনৈতিক যোগাযোগের উপাদান/প্রচলিত মিডিয়া নির্দেশিকা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৪
|-
|৩ || [[রাজনৈতিক যোগাযোগের উপাদান/মৌখিক বার্তার নির্দেশিকা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৪
|-
|৪ || [[রাজনৈতিক যোগাযোগের উপাদান/সাধারণ নির্দেশিকা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩২
|-
|৫ || [[উইকিশৈশব:কণা/প্রসারণ না সংকোচন?]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৯৫
|-
|মোট পাতা:||৫||মোট শব্দ:||১০৯৩
|}
== [[বাবহারকারী:রানা123|রানা123]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|১ || [[উইকিশৈশব:কণা/সারাংশ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৫৯৪
|-
|২ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/সমতলীয় তরঙ্গের প্রতিফলন, সঞ্চালন ও প্রতিসরণ]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৮৯
|-
|৩ || [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/ভরবেগ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৮২
|-
|৪ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/উপপ্রস্তাবনা]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৫৪
|-
|৫ || [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/অপটিক্স]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ৪৪৩
|-
|মোট পাতা:||৫||মোট শব্দ:||১৮৬২
|}
== [[বাবহারকারী:Thajib Hossain|Thajib Hossain]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|১ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/অনুশীলন: পয়েন্টার]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৪০২
|-
|২ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/প্রচলিত নিয়ন্ত্রণ]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৩১৭
|-
|মোট পাতা:||২||মোট শব্দ:||৭১৯
|}
== [[বাবহারকারী:Yasser Raihan|Yasser Raihan]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|১ || [[উইকিশৈশব:কণা/ব্রাউনীয় গতি]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩৫২
|-
|মোট পাতা:||১||মোট শব্দ:||৩৫২
|}
== [[বাবহারকারী:MD Sahib|MD Sahib]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|১ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/সরল দোলন]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৮৩
|-
|মোট পাতা:||১||মোট শব্দ:||৩৮৩
|}
== [[বাবহারকারী:Sa'Adat-E-Zubaire|Sa'Adat-E-Zubaire]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|১ || [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/ক্ষেত্র]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২৪৩
|-
|২ || [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/অরাজকতা তত্ত্ব]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২১৮
|-
|৩ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/একাডেমিক বা শিক্ষাগত অসততা]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১২৭৯
|-
|মোট পাতা:||৩||মোট শব্দ:||১৭৪০
|}
== [[বাবহারকারী:Md Rashidul Hasan Biplob|Md Rashidul Hasan Biplob]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|১ || [[সম্পর্ক/মানব মস্তিষ্কের বিকাশ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৯৩০
|-
|২ || [[সম্পর্ক/অ্যাগাপে]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৮৯
|-
|৩ || [[তড়িৎ ও চুম্বক/স্থির তড়িৎ/পটেনশিয়াল গ্রাডিয়েন্ট]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৪০৪
|-
|৪ || [[তড়িৎ ও চুম্বক/স্থির তড়িৎ/একাধিক আধানসৃষ্ট বিভব]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ১৪৮
|-
|৫ || [[তড়িৎ ও চুম্বক/স্থির তড়িৎ/একটি আধানের কুলম্ব বিভব]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ১৬১
|-
|৬ || [[তড়িৎ ও চুম্বক/স্থির তড়িৎ/ক্যাপাসিটর]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৭০
|-
|৭ || [[তড়িৎ ও চুম্বক/স্থির তড়িৎ/পরিবাহীতে স্থির তড়িৎ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩৫০
|-
|৮ || [[তড়িৎ ও চুম্বক/চল তড়িৎ/ব্যাটারি ও জেনারেটর]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৪৩
|-
|৯ || [[তড়িৎ ও চুম্বক/চুম্বকত্ব/চৌম্বকের তড়িচ্চালক শক্তি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৪৪১
|-
|১০ || [[তড়িৎ ও চুম্বক/চুম্বকত্ব/চুম্বক]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ২৪৯
|-
|১১ || [[রন্ধনপ্রণালী:মুড়িঘন্ট]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৯১
|-
|১২ || [[রন্ধনপ্রণালী:লালমোহন]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৫৬৪
|-
|১৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:নবরত্ন কোরমা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৪৮৭
|-
|১৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:দই চিংড়ি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৪৫৮
|-
|১৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:খাসির রেজালা]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৮১
|-
|১৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:কালোজাম]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ৮২৪
|-
|১৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:মুরগির রোস্ট]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৪০২
|-
|১৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:পান্তা ভাত]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৩২৭
|-
|১৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:দই চিঁড়া]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৩৮
|-
|২০ || [[রন্ধনপ্রণালী:শুঁটকি ভর্তা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১২২
|-
|মোট পাতা:||২০||মোট শব্দ:||৮৩৭৯
|}
== [[বাবহারকারী:T. Fhyym|T. Fhyym]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|১ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/শর্তাধীন অপারেটর]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ৭১০
|-
|মোট পাতা:||১||মোট শব্দ:||৭১০
|}
== [[বাবহারকারী:Najmol Hasan|Najmol Hasan]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|মোট পাতা:||০||মোট শব্দ:||০
|}
== [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|১ || [[উইকিশৈশব:গ্ৰাফিতিতে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান/আবু সাইদ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৪৭
|-
|২ || [[উইকিশৈশব:গ্ৰাফিতিতে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৫৮
|-
|মোট পাতা:||২||মোট শব্দ:||২০৫
|}
== [[বাবহারকারী:Ajmain Istheak|Ajmain Istheak]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|১ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/সিকোয়েন্স অপারেটর]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২৩৬
|-
|২ || [[কোয়ান্টাম জগৎ/আপেক্ষিকতা/লরেন্জ সংকোচন ও সময় সম্প্রসারণ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৫১
|-
|মোট পাতা:||২||মোট শব্দ:||৪৮৭
|}
== [[বাবহারকারী:Towfik Ahmed 07|Towfik Ahmed 07]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|১ || [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/তরঙ্গ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৫২৩
|-
|মোট পাতা:||১||মোট শব্দ:||৫২৩
|}
== [[বাবহারকারী:Md Nasir Uddin Biplob|Md Nasir Uddin Biplob]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|১ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/ঘ্রাণতন্ত্র/ভূমিকা]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ১৮৩
|-
|মোট পাতা:||১||মোট শব্দ:||১৮৩
|}
== [[বাবহারকারী:Azizul Islam Abir|Azizul Islam Abir]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|১ || [[ঢেঁড়স ভাজি]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ১৬৯
|-
|২ || [[খাসির কাচ্চি বিরিয়ানি]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২২০
|-
|মোট পাতা:||২||মোট শব্দ:||৩৮৯
|}
== [[বাবহারকারী:Dr. Mosaddek Khondoker|Dr. Mosaddek Khondoker]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|১ || [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/রৈখিক গতি]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৯৯৯
|-
|মোট পাতা:||১||মোট শব্দ:||১৯৯৯
|}
== [[বাবহারকারী:Sheikh MD. Obaidul Hossain|Sheikh MD. Obaidul Hossain]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|১ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/পতঙ্গ/দৃষ্টি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১০৮৬
|-
|২ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/জেলিফিশ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৪৬৮
|-
|৩ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/দৃষ্টিতন্ত্র/পুরাতন/সংকেত প্রক্রিয়াকরণ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৭৭৩
|-
|৪ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/অব্যবহারে সংবেদী প্রক্রিয়াকরণের পরিবর্তন]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩২০০
|-
|মোট পাতা:||৪||মোট শব্দ:||৭৫২৭
|}
== [[বাবহারকারী:যুবায়ের হোসাইন কায়েফ|যুবায়ের হোসাইন কায়েফ]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|১ || [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/গ্রীক বর্ণমালা]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ৪০৪
|-
|২ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/সমীকরণের তালিকা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২০৩
|-
|৩ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/উদাহরণ/দ্বিতীয় শ্রেণীর সিস্টেম]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৩৬৩
|-
|৪ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/আবরণ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩৪
|-
|৫ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/স্নায়ুতন্ত্র/নিজের জ্ঞান যাচাইয়ের উত্তরমালা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৮২
|-
|৬ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/কোষ/নিজের জ্ঞান যাচাইয়ের উত্তরমালা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৫১
|-
|৭ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/জ্ঞানেন্দ্রিয়সমূহ/নিজের জ্ঞান যাচাইয়ের উত্তরমালা]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২৪২
|-
|৮ || [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/আবৃত্ত গতি]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ৬২
|-
|৯ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/শব্দকোষ/ড-ঢ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৭৬
|-
|১০ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/শ্বসনতন্ত্র/নিজের জ্ঞান যাচাইয়ের উত্তরমালা]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২৪৮
|-
|১১ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/পৌষ্টিকনালী ও পরিপাক/নিজের জ্ঞান যাচাইয়ের উত্তরমালা]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৩৬৮
|-
|১২ || [[তড়িৎচৌম্বকীয় বিকিরণ/গামা রশ্মি]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১২৪
|-
|১৩ || [[তড়িৎচৌম্বকীয় বিকিরণ/মাইক্রোতরঙ্গ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৯৯
|-
|১৪ || [[তড়িৎচৌম্বকীয় বিকিরণ/সম্পর্কসমূহ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১১৩
|-
|১৫ || [[তড়িৎচৌম্বকীয় বিকিরণ/দৃশ্যমান আলো]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৬৩
|-
|১৬ || [[তড়িৎচৌম্বকীয় বিকিরণ/রঞ্জন রশ্মি]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৩১
|-
|১৭ || [[মানব শারীরতত্ত্ব/অ্যাসাইনমেন্টসমূহ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৪২৫
|-
|১৮ || [[সাধারণ বলবিজ্ঞান/বেগ নির্ভর বল]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৫০৭
|-
|১৯ || [[সাধারণ বলবিজ্ঞান]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৭৬
|-
|২০ || [[সাধারণ বলবিজ্ঞান/কাজ ও ক্ষমতা]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৬৬৫
|-
|মোট পাতা:||২০||মোট শব্দ:||৪৬৩৬
|}
== [[বাবহারকারী:Somajyoti|Somajyoti]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|১ || [[তড়িতচুম্বকীয় বিকিরণ/গামা রশ্মি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১২০
|-
|২ || [[তড়িতচুম্বকীয় বিকিরণ/এক্স-রে]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৩৩
|-
|৩ || [[তড়িতচুম্বকীয় বিকিরণ/অতিবেগুনি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২২৬
|-
|৪ || [[তড়িতচুম্বকীয় বিকিরণ/দৃশ্যমান আলো]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৫৮
|-
|৫ || [[তড়িতচুম্বকীয় বিকিরণ/ইনফ্রারেড]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১২২
|-
|৬ || [[তড়িতচুম্বকীয় বিকিরণ/মাইক্রোওয়েভ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১১৯
|-
|৭ || [[তড়িতচুম্বকীয় বিকিরণ/রেডিও]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৪০১
|-
|৮ || [[তড়িতচুম্বকীয় বিকিরণ/বর্ণালীর ব্যান্ডসমূহ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৯১
|-
|৯ || [[তড়িতচুম্বকীয় বিকিরণ/সম্পর্কসমূহ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১২২
|-
|১০ || [[তড়িতচুম্বকীয় বিকিরণ/পরিমাপের এককসমূহ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩২০
|-
|১১ || [[তড়িতচুম্বকীয় বিকিরণ/ভূমিকা]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১২৪
|-
|১২ || [[তড়িতচুম্বকীয় বিকিরণ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩৫
|-
|মোট পাতা:||১২||মোট শব্দ:||২০৭১
|}
== [[বাবহারকারী:Hi.junaidofficial|Hi.junaidofficial]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|১ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/ইনডিরেকশন অপারেটর]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৮২৫
|-
|মোট পাতা:||১||মোট শব্দ:||৮২৫
|}
== [[বাবহারকারী:Md Nayed Ahmed Riaj|Md Nayed Ahmed Riaj]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|১ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিকেন ফিঙ্গার]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৮৫
|-
|২ || [[রন্ধনপ্রণালী:কই মাছের ঝোল]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২১১
|-
|৩ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/ভূমিকা]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৩৩
|-
|৪ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/শব্দকোষ/ক-ল]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৭৩
|-
|৫ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/ভয়েড ডেটা টাইপ]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২০৭
|-
|মোট পাতা:||৫||মোট শব্দ:||৭০৯
|}
== [[বাবহারকারী:Bosesukla|Bosesukla]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|১ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/হৃদযন্ত্র/হৃৎপিণ্ড]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৬২১
|-
|মোট পাতা:||১||মোট শব্দ:||১৬২১
|}
== [[বাবহারকারী:Narrative warrior|Narrative warrior]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|১ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/টেক্সট ফাইল থেকে অ্যারে লোড করা]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৪৬৯
|-
|মোট পাতা:||১||মোট শব্দ:||৪৬৯
|}
== [[বাবহারকারী:Abdur Rakib|Abdur Rakib]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|১ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/হৃদযন্ত্র/রক্ত সংবহন]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৮৫১
|-
|মোট পাতা:||১||মোট শব্দ:||১৮৫১
|}
== [[বাবহারকারী:Malihamoni|Malihamoni]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|১ || [[রন্ধনপ্রণালী:গরুর কাচ্চি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২০৯
|-
|২ || [[রন্ধনপ্রণালী:ফিশ কারি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৬৩
|-
|৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:ফিশ ফ্রাই]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৪৭
|-
|৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:ভেজ নুডলস]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৫৯
|-
|৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:বন রুটি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২১১
|-
|৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:গরুর মাংস ভুনা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২১০
|-
|৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:মালাই চপ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৬০
|-
|৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:মশুর ডাল]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৪৮
|-
|মোট পাতা:||৮||মোট শব্দ:||১৪০৭
|}
== [[বাবহারকারী:Akhlakur Rahman Adil|Akhlakur Rahman Adil]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|১ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/দৃষ্টিতন্ত্র/পুরাতন/সংবেদী অঙ্গ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৭৯৭
|-
|২ || [[রন্ধনপ্রণালী:পনির কারি]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৩১৮
|-
|৩ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/সাধারণ অরৈখিকতা]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ৩৬৩
|-
|৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিকেন বার্গার]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৭৫
|-
|মোট পাতা:||৪||মোট শব্দ:||১৭৫৩
|}
== [[বাবহারকারী:BNBOY|BNBOY]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|১ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/ডিজিটাল নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৭৫৪
|-
|মোট পাতা:||১||মোট শব্দ:||৭৫৪
|}
== [[বাবহারকারী:NeoNoman|NeoNoman]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|১ || [[তড়িৎ ও চুম্বক/চুম্বকত্ব/তড়িৎ প্রবাহে কুলম্বের সূত্র]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২২৪
|-
|২ || [[তড়িৎ ও চুম্বক/স্থির তড়িৎ/তড়িৎ বিভব]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৮৫৯
|-
|মোট পাতা:||২||মোট শব্দ:||১০৮৩
|}
== [[বাবহারকারী:Hosen MD Obayedullah|Hosen MD Obayedullah]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|মোট পাতা:||০||মোট শব্দ:||০
|}
== [[বাবহারকারী:Daiyan-2004|Daiyan-2004]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|১ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/ফর লুপ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৩২৬
|-
|মোট পাতা:||১||মোট শব্দ:||৩২৬
|}
== [[বাবহারকারী:Ishrat Jahan Tahmid|Ishrat Jahan Tahmid]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|১ || [[সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/সামাজিক আন্দোলন]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৮৭৫
|-
|২ || [[সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/সমষ্টিগত আচরণ]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৩৭৫৩
|-
|মোট পাতা:||২||মোট শব্দ:||৬৬২৮
|}
== [[বাবহারকারী:Obangmoy|Obangmoy]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|১ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/লেখক]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১২২
|-
|২ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/ভূমিকা]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৫৫৮
|-
|৩ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/সুইফট লুপ উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ২৬১
|-
|৪ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/লুপের উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ১৯
|-
|৫ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/সুইফট অ্যারে উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ২৩১
|-
|৬ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/শর্তের উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২৮৮
|-
|মোট পাতা:||৬||মোট শব্দ:||১৪৭৯
|}
== [[বাবহারকারী:MD Ashradul Islam Tasin|MD Ashradul Islam Tasin]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|১ || [[তত্ত্ব শিখন/প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষণ: প্রভাবক উপাদান]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৩৯৮
|-
|২ || [[তত্ত্ব শিখন/প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষণ: শাখাভিত্তিক অবদান]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৬৭১
|-
|৩ || [[তত্ত্ব শিখন/নির্মাণবাদী তত্ত্ব]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১১৪৬
|-
|৪ || [[তত্ত্ব শিখন/আচরণবাদী তত্ত্ব]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৪২১
|-
|৫ || [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/লগারিদম]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২৪০
|-
|৬ || [[অতীন্দ্রিয়বাদ/অতীন্দ্রিয়বাদ কি?]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৮২৮
|-
|মোট পাতা:||৬||মোট শব্দ:||৯৭০৪
|}
== [[বাবহারকারী:Sifat Hasan Adil|Sifat Hasan Adil]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|মোট পাতা:||০||মোট শব্দ:||০
|}
== [[বাবহারকারী:Waliurrahmanlimon|Waliurrahmanlimon]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|১ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/সি-শার্প পরিচিতি উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ২১১
|-
|মোট পাতা:||১||মোট শব্দ:||২১১
|}
== [[বাবহারকারী:Editobd|Editobd]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|১ || [[রন্ধনপ্রণালী:বেসনের পকোড়া]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩৮৬
|-
|২ || [[রন্ধনপ্রণালী:বেসনের চপ]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৫৮১
|-
|৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিকেন চিলি]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৪০৬
|-
|৪ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/অভিযোজিত নিয়ন্ত্রণ]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ১০৮
|-
|৫ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/আর্থ্রোপড]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ৮৯৬
|-
|৬ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ০
|-
|মোট পাতা:||৬||মোট শব্দ:||২৩৭৭
|}
== [[বাবহারকারী:Dolon Prova|Dolon Prova]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|১ || [[রন্ধনপ্রণালী:শসার রায়তা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৫০
|-
|২ || [[রন্ধনপ্রণালী:আলু বেগুনের ঝোল]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৯৭
|-
|৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:ভাপা পিঠা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৫৯
|-
|৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:বাঁধাকপি ভাজি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২০৬
|-
|৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিংড়ি ভুনা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৯৩
|-
|৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:শুঁটকি ভুনা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৫৯
|-
|মোট পাতা:||৬||মোট শব্দ:||১১৬৪
|}
== [[বাবহারকারী:Saadi095|Saadi095]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|১ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিকেন নুডলস]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৫৮
|-
|মোট পাতা:||১||মোট শব্দ:||২৫৮
|}
cmejnaou63w4acdwotqryeox2wyi0kv
85833
85832
2025-07-08T09:17:28Z
Maruf
8010
পরিষ্কারকরণ
85833
wikitext
text/x-wiki
<!-- working-->
krm6luu1nqraua7psk0ukmn6bz69f8o
85839
85833
2025-07-08T10:03:10Z
Maruf
8010
হালনাগাদ করা হল
85839
wikitext
text/x-wiki
{| class="wikitable sortable"
|+ এক নজরে পরিসংখ্যান (শব্দ সংখ্যার ভিত্তিতে হালনাগাদ)
|-
! সি. !! ব্যবহারকারী !! গৃহীত নিবন্ধ সংখ্যা !! শব্দ সংখ্যা
|-
| ১ || MS Sakib || ১৩ || ১,৭১,৫৬৮
|-
| ২ || SMontaha32 || ১০৯ || ১,৭৯,৫৭১
|-
| ৩ || Asikur.rahman25 || ৫২ || ১,২২,২৬৩
|-
| ৪ || NusJaS || ১৫ || ১,১২,১৮৪
|-
| ৫ || M.Asaduzzaman sahed || ৩১ || ১,০৮,৫১৬
|-
| ৬ || RDasgupta2020 || ২০২ || ৮১,৩৮৫
|-
| ৭ || Sheikh Mehedi Hassan || ৬৫ || ৭৬,৩১৭
|-
| ৮ || Firuz Ahmmed || ১৭২ || ৭২,১৩৩
|-
| ৯ || MD Abu Siyam || ১৭৭ || ৪৯,৩৭৮
|-
| ১০ || Md Mobashir Hossain || ৮০ || ২৮,১৮৮
|-
| ১১ || Ei to ami akash || ২৪ || ২২,২০১
|-
| ১২ || MD Ashradul Islam Tasin || ৬ || ৯,৭০৪
|-
| ১৩ || Anik Kanti Dey || ১২ || ৯,২১৬
|-
| ১৪ || Md Rashidul Hasan Biplob || ২০ || ৮,৩৭৯
|-
| ১৫ || Sheikh MD. Obaidul Hossain || ৪ || ৭,৫২৭
|-
| ১৬ || Ishrat Jahan Tahmid || ২ || ৬,৬২৮
|-
| ১৭ || নিয়াজ ইসলাম || ৩৫ || ৫,৬৪৬
|-
| ১৮ || Salil Kumar Mukherjee || ১৫ || ৫,২৭৮
|-
| ১৯ || যুবায়ের হোসাইন কায়েফ || ২০ || ৪,৬৩৬
|-
| ২০ || Editobd || ৬ || ২,৩৭৭
|-
| ২১ || Somajyoti || ১২ || ২,০৭১
|-
| ২২ || Anisvai || ১০ || ২,০৬১
|-
| ২৩ || Dr. Mosaddek Khondoker || ১ || ১,৯৯৯
|-
| ২৪ || Abdur Rakib || ১ || ১,৮৫১
|-
| ২৫ || রানা১২৩ || ৫ || ১,৮৬২
|-
| ২৬ || Akhlakur Rahman Adil || ৪ || ১,৭৫৩
|-
| ২৭ || Sa'Adat-E-Zubaire || ৩ || ১,৭৪০
|-
| ২৮ || Bosesukla || ১ || ১,৬২১
|-
| ২৯ || Obangmoy || ৬ || ১,৪৭৯
|-
| ৩০ || Malihamoni || ৮ || ১,৪০৭
|-
| ৩১ || Dolon Prova || ৬ || ১,১৬৪
|-
| ৩২ || NeoNoman || ২ || ১,০৮৩
|-
| ৩৩ || Sagar Mahmud 1122 || ৫ || ১,০৯৩
|-
| ৩৪ || Hi.junaidofficial || ১ || ৮২৫
|-
| ৩৫ || BNBOY || ১ || ৭৫৪
|-
| ৩৬ || Md Nayed Ahmed Riaj || ৫ || ৭০৯
|-
| ৩৭ || T. Fhyym || ১ || ৭১০
|-
| ৩৮ || Thajib Hossain || ২ || ৭১৯
|-
| ৩৯ || Towfik Ahmed 07 || ১ || ৫২৩
|-
| ৪০ || Narrative warrior || ১ || ৪৬৯
|-
| ৪১ || Ajmain Istheak || ২ || ৪৮৭
|-
| ৪২ || Ridnin Riz || ১ || ৪১৮
|-
| ৪৩ || MD Sahib || ১ || ৩৮৩
|-
| ৪৪ || Azizul Islam Abir || ২ || ৩৮৯
|-
| ৪৫ || Yasser Raihan || ১ || ৩৫২
|-
| ৪৬ || Daiyan-২০০৪ || ১ || ৩২৬
|-
| ৪৭ || Saadi০৯৫ || ১ || ২৫৮
|-
| ৪৮ || Waliurrahmanlimon || ১ || ২১১
|-
| ৪৯ || Md.Farhan Mahmud || ১ || ২১৫
|-
| ৫০ || MdsShakil || ২ || ২০৫
|-
| ৫১ || Md Nasir Uddin Biplob || ১ || ১৮৩
|-
| ৫২ || Prerana Hatua || ১ || ১৩২
|-
| ৫৩ || Parishexplorer || ০ || ০
|-
| ৫৪ || Najmol Hasan || ০ || ০
|-
| ৫৫ || Hosen MD Obayedullah || ০ || ০
|-
| ৫৬ || Sifat Hasan Adil || ০ || ০
|}
0bohuo60p26lb8j1g7gnhcp28r6ryal
85840
85839
2025-07-08T10:10:55Z
Maruf
8010
হালনাগাদ করা হল
85840
wikitext
text/x-wiki
{| class="wikitable sortable"
|+ এক নজরে পরিসংখ্যান (শব্দ সংখ্যার ভিত্তিতে হালনাগাদ)
|-
! সি. !! ব্যবহারকারী !! গৃহীত নিবন্ধ সংখ্যা !! শব্দ সংখ্যা
|-
| ১ || MS Sakib || ১৩ || ১,৭১,৫৬৮
|-
| ২ || SMontaha32 || ১০৯ || ১,৭৯,৫৭১
|-
| ৩ || Asikur.rahman25 || ৫২ || ১,২২,২৬৩
|-
| ৪ || NusJaS || ১৫ || ১,১২,১৮৪
|-
| ৫ || M.Asaduzzaman sahed || ৩১ || ১,০৮,৫১৬
|-
| ৬ || RDasgupta2020 || ২০২ || ৮১,৩৮৫
|-
| ৭ || Sheikh Mehedi Hassan || ৬৫ || ৭৬,৩১৭
|-
| ৮ || Firuz Ahmmed || ১৭২ || ৭২,১৩৩
|-
| ৯ || MD Abu Siyam || ১৭৭ || ৪৯,৩৭৮
|-
| ১০ || Md Mobashir Hossain || ৮০ || ২৮,১৮৮
|-
| ১১ || Ei to ami akash || ২৪ || ২২,২০১
|-
| ১২ || MD Ashradul Islam Tasin || ৬ || ৯,৭০৪
|-
| ১৩ || Anik Kanti Dey || ১২ || ৯,২১৬
|-
| ১৪ || Md Rashidul Hasan Biplob || ২০ || ৮,৩৭৯
|-
| ১৫ || Sheikh MD. Obaidul Hossain || ৪ || ৭,৫২৭
|-
| ১৬ || Ishrat Jahan Tahmid || ২ || ৬,৬২৮
|-
| ১৭ || নিয়াজ ইসলাম || ৩৫ || ৫,৬৪৬
|-
| ১৮ || Salil Kumar Mukherjee || ১৫ || ৫,২৭৮
|-
| ১৯ || যুবায়ের হোসাইন কায়েফ || ২০ || ৪,৬৩৬
|-
| ২০ || Editobd || ৬ || ২,৩৭৭
|-
| ২১ || Somajyoti || ১২ || ২,০৭১
|-
| ২২ || Anisvai || ১০ || ২,০৬১
|-
| ২৩ || Dr. Mosaddek Khondoker || ১ || ১,৯৯৯
|-
| ২৪ || Abdur Rakib || ১ || ১,৮৫১
|-
| ২৫ || রানা১২৩ || ৫ || ১,৮৬২
|-
| ২৬ || Akhlakur Rahman Adil || ৪ || ১,৭৫৩
|-
| ২৭ || Sa'Adat-E-Zubaire || ৩ || ১,৭৪০
|-
| ২৮ || Bosesukla || ১ || ১,৬২১
|-
| ২৯ || Obangmoy || ৬ || ১,৪৭৯
|-
| ৩০ || Malihamoni || ৮ || ১,৪০৭
|-
| ৩১ || Dolon Prova || ৬ || ১,১৬৪
|-
| ৩২ || NeoNoman || ২ || ১,০৮৩
|-
| ৩৩ || Sagar Mahmud 1122 || ৫ || ১,০৯৩
|-
| ৩৪ || Hi.junaidofficial || ১ || ৮২৫
|-
| ৩৫ || BNBOY || ১ || ৭৫৪
|-
| ৩৬ || Md Nayed Ahmed Riaj || ৫ || ৭০৯
|-
| ৩৭ || T. Fhyym || ১ || ৭১০
|-
| ৩৮ || Thajib Hossain || ২ || ৭১৯
|-
| ৩৯ || Towfik Ahmed 07 || ১ || ৫২৩
|-
| ৪০ || Narrative warrior || ১ || ৪৬৯
|-
| ৪১ || Ajmain Istheak || ২ || ৪৮৭
|-
| ৪২ || Ridnin Riz || ১ || ৪১৮
|-
| ৪৩ || MD Sahib || ১ || ৩৮৩
|-
| ৪৪ || Azizul Islam Abir || ২ || ৩৮৯
|-
| ৪৫ || Yasser Raihan || ১ || ৩৫২
|-
| ৪৬ || Daiyan-২০০৪ || ১ || ৩২৬
|-
| ৪৭ || Saadi০৯৫ || ১ || ২৫৮
|-
| ৪৮ || Waliurrahmanlimon || ১ || ২১১
|-
| ৪৯ || Md.Farhan Mahmud || ১ || ২১৫
|-
| ৫০ || MdsShakil || ২ || ২০৫
|-
| ৫১ || Md Nasir Uddin Biplob || ১ || ১৮৩
|-
| ৫২ || Prerana Hatua || ১ || ১৩২
|-
| ৫৩ || Parishexplorer || ০ || ০
|-
| ৫৪ || Najmol Hasan || ০ || ০
|-
| ৫৫ || Hosen MD Obayedullah || ০ || ০
|-
| ৫৬ || Sifat Hasan Adil || ০ || ০
|}
== [[বাবহারকারী:Ei to ami akash|Ei to ami akash]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|| ১ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/যুক্তিবিদ্যা/প্রকরণ যুক্তি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩৪৩
|-
|| ২ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/নকশা/প্রারম্ভিক অংশ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৬৮১
|-
|| ৩ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/নকশা/নথির বিন্যাস/সংগঠনের ধরন]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৪৬০
|-
|| ৪ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/নকশা/চিত্র]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৭৯৮
|-
|| ৫ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/নকশা/চিত্রপট]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৮৭১
|-
|| ৬ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/দর্শনের উদ্ভব]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৪৭৬
|-
|| ৭ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/যুক্তিবিদ্যা/যুক্তি ও কারণ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১০৭৮
|-
|| ৮ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/বৌদ্ধ দর্শন কী?]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৯৮০
|-
|| ৯ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/নৈতিকতা কী?]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৪৩৫
|-
|| ১০ || [[কোয়ান্টাম জগৎ/প্রভাব ও প্রয়োগ/শক্তি কোয়ান্টাইজড কেন]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ৩৯৩
|-
|| ১১ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/MIMO সিস্টেমের জন্য স্বত্বমান নির্ধারণ]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৭৭৮
|-
|| ১২ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/তারের অনুপ্রস্থ কম্পন]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৩৯০
|-
|| ১৩ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/কার্টেসীয় স্থানাঙ্কে শব্দতরঙ্গ সমাধান]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২৪৩
|-
|| ১৪ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/শব্দতরঙ্গ সমীকরণ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৪৩০
|-
|| ১৫ || [[অধ্যয়ন দক্ষতা/বিকল্প কৌশল]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৬৪১
|-
|| ১৬ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/সময়-ডোমেইন সমাধান]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ১৩৮
|-
|| ১৭ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/স্থিতিস্থাপক কঠিন পদার্থে তরঙ্গগতি]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩৪৮
|-
|| ১৮ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/শব্দকোষ/বই সংস্করণ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১২৮
|-
|| ১৯ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/শ্রেণীবিন্যাস]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৫৮৪
|-
|| ২০ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/রসায়নিক পদার্থ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৬১৮
|-
|| ২১ || [[তড়িৎ ও চুম্বক/স্থির তড়িৎ/কুলম্বের সূত্র]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৩৩৮
|-
|| ২২ || [[সাধারণ বলবিজ্ঞান/টর্ক ও কৌণিক ভরবেগ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৫৩৯
|-
|| ২৩ || [[তড়িৎ ও চুম্বক/চুম্বকত্ব/ভেক্টর গুণফল]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ১৩২
|-
|| ২৪ || [[সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/সংস্কৃতি]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৩৩৭৯
|-
|মোট পাতা:||২৪||মোট শব্দ:||২২২০১
|}
== [[বাবহারকারী:MD Abu Siyam|MD Abu Siyam]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|| ১ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/স্ট্রিং ডেটা টাইপ]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ৫১৭
|-
|| ২ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/শ্রবণের পরিবাহী প্রক্রিয়া]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৮০
|-
|| ৩ || [[ত্রিমাত্রিক মুদ্রণ/মুদ্রণ পরবর্তী প্রক্রিয়াকরণ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১০৭
|-
|| ৪ || [[ত্রিমাত্রিক মুদ্রণ/স্লাইসিং সফটওয়্যার]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২০৫
|-
|| ৫ || [[ত্রিমাত্রিক মুদ্রণ/মডেলসমূহ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২০০
|-
|| ৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:বড়া খিচুড়ি]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩৩৭
|-
|| ৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:পানতোয়া]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৮৪
|-
|| ৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:শাহী দাল মাখনি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩০৭
|-
|| ৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিকেন ড্রামস্টিক]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩০২
|-
|| ১০ || [[রন্ধনপ্রণালী:জিরা পানি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৬৭
|-
|| ১১ || [[রন্ধনপ্রণালী:বাদাম ভর্তা]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩০০
|-
|| ১২ || [[রন্ধনপ্রণালী:পনির পাকোড়া]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৭৭
|-
|| ১৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:পাঁপড়]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৬৬
|-
|| ১৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:ছিটা রুটি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩৫৬
|-
|| ১৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিকেন দম বিরিয়ানি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩৭৪
|-
|| ১৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:কর্নডগ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৭৩
|-
|| ১৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:আচারি চিকেন]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৪৩৬
|-
|| ১৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:পেস্তা হালুয়া]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২২৩
|-
|| ১৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:হান্ডি বিফ]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৭৬
|-
|| ২০ || [[রন্ধনপ্রণালী:মাঠা]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৭২
|-
|| ২১ || [[রন্ধনপ্রণালী:ব্রাউনি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৩৬
|-
|| ২২ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিকেন শাসলিক]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২২৮
|-
|| ২৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিকেন জালি কাবাব]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৩৫
|-
|| ২৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:জাফরানি শরবত]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৯৭
|-
|| ২৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:বাদাম শরবত]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২০২
|-
|| ২৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:হুমুস]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৮২
|-
|| ২৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিকেন নাচোস]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২১৯
|-
|| ২৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:পটেটো ওয়েজেস]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৪৩
|-
|| ২৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিকেন টিক্কা কাবাব]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৪০
|-
|| ৩০ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিকেন বটি কাবাব]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৫০
|-
|| ৩১ || [[রন্ধনপ্রণালী:অনিয়ন রিংস]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২২৪
|-
|| ৩২ || [[রন্ধনপ্রণালী:কুনাফা চকলেট]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৭৯
|-
|| ৩৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:টাকো]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৬৮
|-
|| ৩৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:কচুপাতা ভর্তা]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৭৩
|-
|| ৩৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:চাল কুমড়ার মোরব্বা]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৮৮
|-
|| ৩৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:আমের মোরব্বা]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৯৯
|-
|| ৩৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:পেলকা]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৬৭
|-
|| ৩৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:চ্যাপা শুটকি ভর্তা]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৩৮৮
|-
|| ৩৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:ডোনাট]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৫৩২
|-
|| ৪০ || [[কানাডায় শরনার্থী প্রক্রিয়া/ শব্দকোষ]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৩০৩
|-
|| ৪১ || [[উইকিশৈশব:চলো নাইকার গুহাতে স্ফটিকীকরণ নিয়ে কথা বলি]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৩৮৯
|-
|| ৪২ || [[উইকিশৈশব:চলো নাইকার গুহাতে স্ফটিকীকরণ নিয়ে কথা বলি/১২ - তরবারির গুহায় স্ফটিক গঠন]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৬১
|-
|| ৪৩ || [[উইকিশৈশব:চলো নাইকার গুহাতে স্ফটিকীকরণ নিয়ে কথা বলি/১ - নাইকা মেক্সিকোতে অবস্থিত]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৪৬
|-
|| ৪৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:ধোকলা]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৭০
|-
|| ৪৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:তেলি হাঁস ভুনা]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২২৮
|-
|| ৪৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:মুড়ি সন্দেশ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৫৮
|-
|| ৪৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:খেজুরের ক্ষীর]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২২৭
|-
|| ৪৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:গরুর মাংসের ঝুরি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩২০
|-
|| ৪৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:মাছের দো পোয়া]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৬৫
|-
|| ৫০ || [[রন্ধনপ্রণালী:ফাফড়া]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৬৮
|-
|| ৫১ || [[রন্ধনপ্রণালী:মোচার ঘন্ট]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৬০
|-
|| ৫২ || [[রন্ধনপ্রণালী:ঘিয়ের মোয়া]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৫৪
|-
|| ৫৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:কাঁঠালের বিচির ঘন্ট]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২১২
|-
|| ৫৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:ক্ষীরশাপটা]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৩৬
|-
|| ৫৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিংড়ি নারকেল ঝোল]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৪৭
|-
|| ৫৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:ধনেপাতার মুরগী]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৫৪
|-
|| ৫৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:মেওয়া লাড্ডু]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২০৭
|-
|| ৫৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:আলুর বড়া]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৭৬
|-
|| ৫৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:ইলিশের খোসার ঝোল]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩০৬
|-
|| ৬০ || [[রন্ধনপ্রণালী:লাউ ভাজা]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২১১
|-
|| ৬১ || [[রন্ধনপ্রণালী:ডিমের টমেটো কারি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৫৫
|-
|| ৬২ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিড়ার কাবাব]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২২৪
|-
|| ৬৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:চালতার আচার]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২২৪
|-
|| ৬৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:বুটের শিরনী]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৭৩
|-
|| ৬৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:লাউ খোয়া]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৬৩
|-
|| ৬৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:পুঁটিমাছ ভুনা]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৫৮
|-
|| ৬৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:মেজবানি মাংস]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৯১
|-
|| ৬৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:তান্দুরি রুটি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৭১
|-
|| ৬৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:বিফ চাপ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩১০
|-
|| ৭০ || [[রন্ধনপ্রণালী:ছানার দম পনির]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৯৭
|-
|| ৭১ || [[রন্ধনপ্রণালী:নবাবি কচুরি]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৩৫৫
|-
|| ৭২ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিকেন দোপেয়াজা]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৩৬৩
|-
|| ৭৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:মালাই কোফতা]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৩৭৩
|-
|| ৭৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:পনির বাটার মসলা]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৩৬৩
|-
|| ৭৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:চুইঝাল চিংড়ি]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৩৩০
|-
|| ৭৬ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/অ্যাপ্লিকেশন ওয়েবসাইটসমূহ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৫২
|-
|| ৭৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:পটলের চপ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৯৬
|-
|| ৭৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:চালকুমড়ার বড়া]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৬৮
|-
|| ৭৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:চকলেট মিল্কশেক]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২২০
|-
|| ৮০ || [[রন্ধনপ্রণালী:শুটকি চচ্চড়ি]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৮৮
|-
|| ৮১ || [[রন্ধনপ্রণালী:সবজি পাকোড়া]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৭৯
|-
|| ৮২ || [[রন্ধনপ্রণালী:মুগডালের হালুয়া]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৯৪
|-
|| ৮৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:বাঁধাকপির ঘন্ট]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৬৯
|-
|| ৮৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:পোড়া বেগুন ভর্তা]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৬৬
|-
|| ৮৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিকেন নাগা কারি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩০০
|-
|| ৮৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:স্ট্রবেরি মিল্কশেক]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৭৯
|-
|| ৮৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:স্ট্রবেরি লাচ্ছি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৯৬
|-
|| ৮৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:ম্যাংগো মিল্কশেক]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৮৬
|-
|| ৮৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:তেঁতুলের চাটনি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২১০
|-
|| ৯০ || [[রন্ধনপ্রণালী:পুদিনা চাটনি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২২৪
|-
|| ৯১ || [[রন্ধনপ্রণালী:বাদাম পুলি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৭২
|-
|| ৯২ || [[রন্ধনপ্রণালী:সরষে পাবদা]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩১৯
|-
|| ৯৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:রসকদম্ব]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩২১
|-
|| ৯৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:কাঁচকলার কোপ্তা]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩১০
|-
|| ৯৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:সজনে ডাল]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২১৩
|-
|| ৯৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:ম্যাংগো লাচ্ছি]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২৪৯
|-
|| ৯৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিংড়ি ভর্তা]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২৪০
|-
|| ৯৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:সাগুর পায়েস]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২৬৩
|-
|| ৯৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:মুরগির পাকোড়া]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২৭৯
|-
|| ১০০ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিকেন পপকর্ন]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৩০০
|-
|| ১০১ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/লজিক্যাল অপারেটর]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৪৩৫
|-
|| ১০২ || [[রন্ধনপ্রণালী:মাংসের আচার]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৩৩৬
|-
|| ১০৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:রামেন]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২৭০
|-
|| ১০৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিঁড়ের পায়েস]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৫২
|-
|| ১০৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:শিমের ডালনা]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২৭১
|-
|| ১০৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিকেন স্যুপ]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২৯০
|-
|| ১০৭ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/সাইজঅফ অপারেটর]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৩১১
|-
|| ১০৮ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/সফটওয়্যার টেস্টিং]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৫৭৯
|-
|| ১০৯ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/রিলেশনাল অপারেটর]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৯৭
|-
|| ১১০ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/প্রোগ্রাম ডিজাইন]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৫৯৯
|-
|| ১১১ || [[রন্ধনপ্রণালী:বালাচাও]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ৩৩৫
|-
|| ১১২ || [[রন্ধনপ্রণালী:টমেটো খাট্টা]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২৮১
|-
|| ১১৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:মধুভাত]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২৮৯
|-
|| ১১৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:ফুলকপির ধোকা]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৩৩৬
|-
|| ১১৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:ছানার ডালনা]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২৯৬
|-
|| ১১৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:রেজালা]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ৩০৩
|-
|| ১১৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:মোঘলাই কোরমা]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৮৭
|-
|| ১১৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:পটলের কোপ্তা]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৪৪১
|-
|| ১১৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:কাঁচামিষ্টি আমদই]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২২০
|-
|| ১২০ || [[রন্ধনপ্রণালী:সাতকরা গরুর মাংস]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২২৯
|-
|| ১২১ || [[রন্ধনপ্রণালী:শাহী টুকরা]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ৩৪৫
|-
|| ১২২ || [[রন্ধনপ্রণালী:শাহী দুধ সেমাই]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ৩১৫
|-
|| ১২৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:চীজকেক]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৬০
|-
|| ১২৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:আলু পনির]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৩৮
|-
|| ১২৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:রাবড়ি]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৮৫
|-
|| ১২৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:ছানার বরফি]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৭২
|-
|| ১২৭ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/সুইফট অবজেক্ট উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ২৯৮
|-
|| ১২৮ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/সুইফট পরিচিতি উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ২০২
|-
|| ১২৯ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/জাভাস্ক্রিপ্ট পরিচিতি উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ৩৫২
|-
|| ১৩০ || [[রন্ধনপ্রণালী:ছোলে ভাটুরে]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৯৯
|-
|| ১৩১ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/লেখকবৃন্দ]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ৩৬
|-
|| ১৩২ || [[রন্ধনপ্রণালী:খাসির চাপ]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৬৭
|-
|| ১৩৩ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/প্রোগ্রামিং পরিচিতি]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ১৯২
|-
|| ১৩৪ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/পাইথন পরিচিতি উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ২১৩
|-
|| ১৩৫ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/ডেটা ম্যানিপুলেশন]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ৫৭৭
|-
|| ১৩৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:প্যানকেক]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৪৫
|-
|| ১৩৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:সুজির টোস্ট]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৬৪
|-
|| ১৩৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:দই চাট]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২১৪
|-
|| ১৩৯ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/সূচীপত্র]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১০৩৫
|-
|| ১৪০ || [[রন্ধনপ্রণালী:আচারি বিফ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩৫১
|-
|| ১৪১ || [[রন্ধনপ্রণালী:দই কাতলা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩৫২
|-
|| ১৪২ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিড়ার সরবত]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩৩১
|-
|| ১৪৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:ঘুগনি]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩৭৪
|-
|| ১৪৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:ঘোল]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩০৯
|-
|| ১৪৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিকেন শর্মা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৯২
|-
|| ১৪৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:ফিশ কাটলেট]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৬৪
|-
|| ১৪৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:জর্দা সেমাই]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৭৩
|-
|| ১৪৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:গরুর পায়া]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৩৬৮
|-
|| ১৪৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:তিলের নাড়ু]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২৫৪
|-
|| ১৫০ || [[রন্ধনপ্রণালী:নারকেলের নাড়ু]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৪৬
|-
|| ১৫১ || [[রন্ধনপ্রণালী:মুরগির কোরমা]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২৯৩
|-
|| ১৫২ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিকেন ললিপপ]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২৪১
|-
|| ১৫৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:কলিজা ভুনা]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২৬১
|-
|| ১৫৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:কলিজা সিঙ্গারা]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৩৩৮
|-
|| ১৫৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:মলিদা]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২১৮
|-
|| ১৫৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:আলু পরোটা]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২৫৭
|-
|| ১৫৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:ডিম পরোটা]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২৬৮
|-
|| ১৫৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:বাটার নান]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৩৩০
|-
|| ১৫৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:দুধ চিতই]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৩২১
|-
|| ১৬০ || [[রন্ধনপ্রণালী:দুধ পুলি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৩৫
|-
|| ১৬১ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিংড়ির ভর্তা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৬৫
|-
|| ১৬২ || [[রন্ধনপ্রণালী:মশলা চা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২১৬
|-
|| ১৬৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:আদা চা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৩৮
|-
|| ১৬৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:লেবু চা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৪৫
|-
|| ১৬৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:বেলপুরি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৪২২
|-
|| ১৬৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:ছানার পায়েস]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৪৫৫
|-
|| ১৬৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:ফ্রায়েড রাইস]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২১৬
|-
|| ১৬৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:বিফ স্টেক]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৯৫
|-
|| ১৬৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:ডিম টোস্ট]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১০৯
|-
|| ১৭০ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/অ্যাসাইনমেন্ট বনাম সমতা]] || [[বাবহারকারী:Maruf|Maruf]] || ৩৮৮
|-
|| ১৭১ || [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/বিষয়সমূহ]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ১৪৯
|-
|| ১৭২ || [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/লেখক]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৮
|-
|| ১৭৩ || [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৯২
|-
|| ১৭৪ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/ডেটা এবং অপারেটর]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৫২
|-
|| ১৭৫ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/সি++ সংরক্ষিত কীওয়ার্ড]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২৪৪
|-
|| ১৭৬ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/বুলিয়ান ডেটা টাইপ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৩৩০
|-
|| ১৭৭ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/অ্যাসাইনমেন্ট]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২৬২
|-
|মোট পাতা:||১৭৭||মোট শব্দ:||৪৯৩৭৮
|}
== [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|| ১ || [[জাপানের ইতিহাস: পুরাণ থেকে জাতিসত্ত্বা]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৪৯২
|-
|| ২ || [[জাপানের ইতিহাস: পুরাণ থেকে জাতিসত্ত্বা/আসুকা যুগ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৮৩৮৩
|-
|| ৩ || [[সবকিছুর জন্যেই ইন্টারনেট?/নজরদারি ও প্রতিনজরদারি]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২০৫৬৫
|-
|| ৪ || [[সবকিছুর জন্যেই ইন্টারনেট?/ডিজিটাল যুগে ব্যক্তিগত ও জনপরিসর]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৮৯৫৫
|-
|| ৫ || [[সবকিছুর জন্যেই ইন্টারনেট?]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৪৬১
|-
|| ৬ || [[সবকিছুর জন্যেই ইন্টারনেট?/প্রযুক্তিগত ও সাংস্কৃতিক নির্ধারণবাদ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৩৭০৩
|-
|| ৭ || [[কানাডায় শরনার্থী প্রক্রিয়া/স্বাধীন সিদ্ধান্তগ্রহণকারীর অধিকার]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ৫২৫১
|-
|| ৮ || [[কানাডায় শরনার্থী প্রক্রিয়া/শরণার্থী প্রক্রিয়া ব্যাখ্যার নীতিমালা]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ১৭৩৪৩
|-
|| ৯ || [[কানাডায় শরনার্থী প্রক্রিয়া/বোর্ডের অনুসন্ধানমূলক দায়িত্ব]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ৬৮৮৬
|-
|| ১০ || [[কানাডায় শরনার্থী প্রক্রিয়া/পক্ষপাতহীন সিদ্ধান্তগ্রহণকারীর অধিকার]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ৫২৬৯
|-
|| ১১ || [[কানাডায় শরনার্থী প্রক্রিয়া/ন্যায্য শুনানির অধিকার]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২১৪৮৪
|-
|| ১২ || [[কানাডায় শরনার্থী প্রক্রিয়া/কানাডায় শরণার্থী প্রক্রিয়ার ইতিহাস]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২০৮৮৪
|-
|| ১৩ || [[কানাডায় শরনার্থী প্রক্রিয়া]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৮৯২
|-
|মোট পাতা:||১৩||মোট শব্দ:||১৭১৫৬৮
|}
== [[বাবহারকারী:Asikur.rahman25|Asikur.rahman25]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|| ১ || [[রাজনৈতিক যোগাযোগের উপাদান/প্রচলিত মিডিয়া নির্দেশিকা/মতামত কলাম ও সম্পাদককে চিঠি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৮১৩
|-
|| ২ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/কক্ষে তড়িৎ-শব্দীয় স্থাপনাসমূহ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৯০২
|-
|| ৩ || [[জাপানের ইতিহাস: পুরাণ থেকে জাতিসত্ত্বা/আজুচি–মোমোয়ামা যুগ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৬০৫
|-
|| ৪ || [[জাপানের ইতিহাস: পুরাণ থেকে জাতিসত্ত্বা/মুরোমাচি যুগ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৫৪৭
|-
|| ৫ || [[জাপানের ইতিহাস: পুরাণ থেকে জাতিসত্ত্বা/কামাকুরা যুগ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৭০০
|-
|| ৬ || [[জাপানের ইতিহাস: পুরাণ থেকে জাতিসত্ত্বা/জোমন যুগ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১২৭৮
|-
|| ৭ || [[জাপানের ইতিহাস: পুরাণ থেকে জাতিসত্ত্বা/সংঘর্ষকালীন রাজ্য যুগ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২০৮৯
|-
|| ৮ || [[জাপানের ইতিহাস: পুরাণ থেকে জাতিসত্ত্বা/জাপানে মার্কিন দখল]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩১৮৪
|-
|| ৯ || [[জাপানের ইতিহাস: পুরাণ থেকে জাতিসত্ত্বা/বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী জাপান]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২১৬৪
|-
|| ১০ || [[জাপানের ইতিহাস: পুরাণ থেকে জাতিসত্ত্বা/তাইশো যুগ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৩৭৬
|-
|| ১১ || [[সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/লিঙ্গ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৩২৫৯
|-
|| ১২ || [[সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/সমাজ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২৯২২
|-
|| ১৩ || [[মানব শারীরতত্ত্ব/জিনতত্ত্ব ও বংশগতি]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৬১৮০
|-
|| ১৪ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/প্রজনন তন্ত্র]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৪৫৪৫
|-
|| ১৫ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/অন্তঃক্ষরা তন্ত্র]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৫৪৪৯
|-
|| ১৬ || [[জাপানের ইতিহাস: পুরাণ থেকে জাতিসত্ত্বা/গ্রন্থপঞ্জি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২০৬৭
|-
|| ১৭ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/পৌষ্টিকনালী ও পরিপাক]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৩৮৩৫
|-
|| ১৮ || [[সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/জনসংখ্যাতত্ত্ব]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩৩৮০
|-
|| ১৯ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/স্নায়ুতন্ত্র]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২৮২৫
|-
|| ২০ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/জ্ঞানেন্দ্রিয়সমূহ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৩২১৭
|-
|| ২১ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/দৃষ্টি সংকেত প্রক্রিয়াকরণ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৫৭৬৯
|-
|| ২২ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/মানব স্বররজ্জু/উৎস-ফিল্টার তত্ত্ব]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৪৪৮
|-
|| ২৩ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/ভারসাম্যতন্ত্রের সংকেত প্রক্রিয়াকরণ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৪৪৪
|-
|| ২৪ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/ইরান]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩০০১
|-
|| ২৫ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/ উদ্দীপনাময় বিংশ শতাব্দী এবং নিষেধাজ্ঞা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৫৪১৭
|-
|| ২৬ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/ট্রুম্যান এবং স্নায়ু যুদ্ধ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৬০৬
|-
|| ২৭ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/রাজনৈতিক দর্শন কী?]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৯৪৮
|-
|| ২৮ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/অতিভৌতিকতা কী?]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১০৯৫
|-
|| ২৯ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/সুবিধাবাদ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৮৬৬
|-
|| ৩০ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/ব্যক্তি কী?]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ২৪৬৩
|-
|| ৩১ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/বিস্ফোরণ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৭০১
|-
|| ৩২ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের শব্দবিজ্ঞানগত চ্যালেঞ্জ]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ১২১৬
|-
|| ৩৩ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/পতঙ্গ/দিকনির্ণয়]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৫৮১
|-
|| ৩৪ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/বর্ণ প্রত্যক্ষণ]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ২১৪৪
|-
|| ৩৫ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/মাকড়সা]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৩৯৩২
|-
|| ৩৬ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/প্রতিবেদন/পরিকল্পনা]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ১২৩৫
|-
|| ৩৭ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/জৈবচিকিৎসীয় আলট্রাসাউন্ড]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ১৮৩৬
|-
|| ৩৮ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/অক্টোপাস]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৬৯৭
|-
|| ৩৯ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/মূত্রতন্ত্র]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৩০৪৭
|-
|| ৪০ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/ত্বক]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২৬১২
|-
|| ৪১ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/শ্বসনতন্ত্র]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ২১২১
|-
|| ৪২ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/কোষ]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৩২৩১
|-
|| ৪৩ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/ফ্লোচার্ট]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৮৮৪
|-
|| ৪৪ || [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/তাপগতিবিদ্যা]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ৭৮০
|-
|| ৪৫ || [[তত্ত্ব শিখন/প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষণ: অনুশীলন]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৯০৬
|-
|| ৪৬ || [[সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/পরিবার]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৫৫২৫
|-
|| ৪৭ || [[সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/দৈনন্দিন জীবন/প্রযুক্তি/টেলিভিশন]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৫৬৪
|-
|| ৪৮ || [[সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/শিক্ষা]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২৩৯৬
|-
|| ৪৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:নানরুটি]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৪৪
|-
|| ৫০ || [[রন্ধনপ্রণালী:ছোলার ডাল]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ১৭৭
|-
|| ৫১ || [[রন্ধনপ্রণালী:বাকরখানি]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৭০
|-
|| ৫২ || [[অতীন্দ্রিয়বাদ/বিশ্বাস ও মস্তিষ্ক নিয়ে গবেষণা]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ১৭৭০
|-
|মোট পাতা:||৫২||মোট শব্দ:||১২২২৬৩
|}
== [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|| ১ || [[মানব শারীরতত্ত্ব/অন্তঃক্ষরা গ্রন্থিতন্ত্র]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ৭০৩৭
|-
|| ২ || [[জাপানের ইতিহাস: পুরাণ থেকে জাতিসত্ত্বা/মধ্য হেইয়ান যুগ]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ৯৫৬৫
|-
|| ৩ || [[জাপানের ইতিহাস: পুরাণ থেকে জাতিসত্ত্বা/ইয়াইয়োই যুগ]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ১০৭৪০
|-
|| ৪ || [[জাপানের ইতিহাস: পুরাণ থেকে জাতিসত্ত্বা/আধুনিক জাপান]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৪০৮৪
|-
|| ৫ || [[চিন্তন ও নির্দেশনা/সহযোগিতামূলক এবং অনুসন্ধানভিত্তিক শিখন]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৩৯৯৩
|-
|| ৬ || [[চিন্তন ও নির্দেশনা/শেখার জন্য প্রযুক্তি ও নকশা]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ৭৪৫৫
|-
|| ৭ || [[চিন্তন ও নির্দেশনা/শিখন ও স্মৃতি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৯৩৪৩
|-
|| ৮ || [[চিন্তন ও নির্দেশনা/মেটাকগনিশন ও স্ব-নিয়ন্ত্রিত শেখা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৫৯৪৫
|-
|| ৯ || [[চিন্তন ও নির্দেশনা/পড়তে শেখা]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ৭৩৩৫
|-
|| ১০ || [[চিন্তন ও নির্দেশনা/দীর্ঘমেয়াদী স্মৃতি]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ৫১০১
|-
|| ১১ || [[চিন্তন ও নির্দেশনা/গণিত শেখা]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৮৩৩৫
|-
|| ১২ || [[মানব শারীরতত্ত্ব/রেচনতন্ত্র]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ৫৭৫৩
|-
|| ১৩ || [[চিন্তন ও নির্দেশনা/এনকোডিং ও পুনরুদ্ধার]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২২৬২
|-
|| ১৪ || [[মানব শারীরতত্ত্ব/গর্ভধারণ ও সন্তান প্রসব]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ৮২৭২
|-
|| ১৫ || [[চিন্তন ও নির্দেশনা/সাংবদ্ধ মনোবিজ্ঞানের উৎপত্তি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৬৯৬৪
|-
|মোট পাতা:||১৫||মোট শব্দ:||১১২১৮৪
|}
== [[বাবহারকারী:Anisvai|Anisvai]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|| ১ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/কর্তব্যবাদ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৩৫
|-
|| ২ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/প্রয়োগবাদ]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২৪৭
|-
|| ৩ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/উৎস নথিভুক্তকরণ/তথ্যসূত্র]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৬৭
|-
|| ৪ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/পরিণামবাদ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩৫৪
|-
|| ৫ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/চেতনা বিষয়ক দর্শন]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩৯১
|-
|| ৬ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/সামাজিক চুক্তি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৫৭
|-
|| ৭ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/যুক্তিবিদ্যা/জটিল সূত্র নির্মাণ]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ১০৮
|-
|| ৮ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/অভিজ্ঞতাবাদ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১০১
|-
|| ৯ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/প্রাচীন রাজনৈতিক দর্শন]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৩৪
|-
|| ১০ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/সৌন্দর্যবোধ]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ১৬৭
|-
|মোট পাতা:||১০||মোট শব্দ:||২০৬১
|}
== [[বাবহারকারী:SMontaha32|SMontaha32]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|| ১ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/কম্পিউটার মডেল/ভারসাম্যতন্ত্র সিমুলেশন]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১০৭৩
|-
|| ২ || [[চিন্তন ও নির্দেশনা/বিজ্ঞান শিখন ও ধারণাগত পরিবর্তন]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৪৭৪২
|-
|| ৩ || [[জাপানের ইতিহাস: পুরাণ থেকে জাতিসত্ত্বা/জাপানে বৌদ্ধধর্ম]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৭০৫১
|-
|| ৪ || [[জাপানের ইতিহাস: পুরাণ থেকে জাতিসত্ত্বা/প্রারম্ভিক হেইয়ান যুগ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৯২০৭
|-
|| ৫ || [[জাপানের ইতিহাস: পুরাণ থেকে জাতিসত্ত্বা/কোফুন যুগ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১১৬০৫
|-
|| ৬ || [[জাপানের ইতিহাস: পুরাণ থেকে জাতিসত্ত্বা/অবসানকালীন হেইয়ান যুগ]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৬৭৫
|-
|| ৭ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/মানব স্বররজ্জু]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৯০৬
|-
|| ৮ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/দৃষ্টিতন্ত্র]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১১২১৬
|-
|| ৯ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/ওবামা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২২২১
|-
|| ১০ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/ডব্লিউ. বুশ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩৪৯২
|-
|| ১১ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/নির্দেশাবলি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৬৪২
|-
|| ১২ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/নকশা/শেষাংশ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১০২৯
|-
|| ১৩ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/নকশা]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১০০৫
|-
|| ১৪ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/ধর্মতত্ত্ব]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৯৪৯
|-
|| ১৫ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/যুক্তিবিদ্যা/বাক্যযুক্তির আরও আনুষ্ঠানিক দৃষ্টিভঙ্গি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৯০৫
|-
|| ১৬ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/ব্যবসায়িক যোগাযোগ/চিঠি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৭৬৯
|-
|| ১৭ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/ব্যবসায়িক যোগাযোগ/ওয়েবসাইট]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৯৮০
|-
|| ১৮ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/প্রকল্প ব্যবস্থাপনা/দলসমূহ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৬২১
|-
|| ১৯ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/অলঙ্করণ/অনুমান]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৮২২
|-
|| ২০ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/ব্যবসায়িক যোগাযোগ/মেমো]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১২৭১
|-
|| ২১ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/প্রস্তাবনা]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৭৭৯
|-
|| ২২ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/সম্ভাব্যতা]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৭৬৭
|-
|| ২৩ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/উপস্থাপনা]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩৪১৯
|-
|| ২৪ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/নৈতিকতা/সংস্কৃতি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৩০৪
|-
|| ২৫ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/নকশা/ব্যবহারযোগ্যতা]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ১৩০৯
|-
|| ২৬ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/পেশা/জীবনবৃত্তান্ত]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ২৫৩১
|-
|| ২৭ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/পেশা/কাভার লেটার]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২১৭২
|-
|| ২৮ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/পেশা]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৭৯৮
|-
|| ২৯ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/প্রকল্প ব্যবস্থাপনা]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ৭৬৭
|-
|| ৩০ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/পেশাদার লেখনী সম্বন্ধে]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ৫২৯
|-
|| ৩১ || [[সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/সাধারণ সমাজতাত্ত্বিক তত্ত্ব]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৫১
|-
|| ৩২ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/বাদুড় ও ডলফিনের ইকোলোকেশন]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৫৭৭
|-
|| ৩৩ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/চলন্ত কয়েল লাউডস্পিকার]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৫৯৮
|-
|| ৩৪ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/আলট্রাসনিক মাধ্যমের জন্য নতুন শব্দ ফিল্টার]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৪৮১
|-
|| ৩৫ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/ডিজিটাল নিয়ন্ত্রণের ভূমিকা]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৩৭০
|-
|| ৩৬ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/পোল ও জিরো]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৭০২
|-
|| ৩৭ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/স্টেট-স্পেস স্থিতিশীলতা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৮১৬
|-
|| ৩৮ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/সিস্টেম শনাক্তকরণ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১০৮১
|-
|| ৩৯ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/সিস্টেম মেট্রিক্স]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৫৩৪
|-
|| ৪০ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/স্টেট-স্পেস সমীকরণ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৪৫৬
|-
|| ৪১ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/পিজোইলেকট্রিক ট্রান্সডিউসার]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৬৫৯
|-
|| ৪২ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/স্ব-সমন্বয়ী হেলমহোল্টজ অনুরণকের সাহায্যে কোলাহল নিয়ন্ত্রণ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১১৬৫
|-
|| ৪৩ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/কম্পিউটার মডেল/শ্রবণতন্ত্র সিমুলেশন]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৩৪৯৩
|-
|| ৪৪ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/সময় ভেদে পরিবর্তনশীল সিস্টেম সমাধান]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৮৩৮
|-
|| ৪৫ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/রাষ্ট্রপতিরা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২১৬১
|-
|| ৪৬ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/ভারসাম্যতন্ত্রের অঙ্গসংস্থান]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৭৪২
|-
|| ৪৭ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/অন্যান্য প্রাণী]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩০৪৬
|-
|| ৪৮ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/বিপ্লবের পথে]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৪৪৭৬
|-
|| ৪৯ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/আইজেনহাওয়ার নাগরিক অধিকার পঞ্চাশের দশক]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৩৯৩৪
|-
|| ৫০ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/স্নায়ুসংবেদী ইমপ্লান্ট]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৫১৫৫
|-
|| ৫১ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/প্রাক-কলম্বীয়]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৪১৯
|-
|| ৫২ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/আবিষ্কারের যুগ ও গিল্ডেড যুগ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩২৫৯
|-
|| ৫৩ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/স্প্যানিশ গৃহযুদ্ধ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৪৪০
|-
|| ৫৪ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/সংবিধানের প্রাথমিক বছরগুলি]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৭৭৯
|-
|| ৫৫ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/পুনর্গঠন]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৩৯০৩
|-
|| ৫৬ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/ইংরেজ উপনিবেশ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩৬৫২
|-
|| ৫৭ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/সামুদ্রিক প্রাণী]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৮৪২
|-
|| ৫৮ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/ভারসাম্যতন্ত্র]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১২৫৩
|-
|| ৫৯ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/স্নায়ুসংবেদী ইমপ্লান্ট/ভবিষ্যতের দিকনির্দেশনা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৪২৮
|-
|| ৬০ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/কম্পিউটার মডেল/স্নায়বিক সিমুলেশন]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৪৪৬২
|-
|| ৬১ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/বোডি চিত্র]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ১০৪০
|-
|| ৬২ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/ফিল্টার ডিজাইন ও বাস্তবায়ন]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৯২৭
|-
|| ৬৩ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/পতঙ্গ/হ্যালটেরেস]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৫৯৮
|-
|| ৬৪ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/বহুসংবেদী একত্রীকরণ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৬৯১
|-
|| ৬৫ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/পাখি/চৌম্বক উপলব্ধি]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩৫৭৯
|-
|| ৬৬ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/কম্পিউটার মডেল/ঘ্রাণতন্ত্র সিমুলেশন]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৪৭২
|-
|| ৬৭ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/দৃষ্টিতন্ত্র/দৃষ্টিতন্ত্রের আন্তঃপ্রজাতি তুলনা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৪২৭
|-
|| ৬৮ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/হাঙ্গর]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২০৭৪
|-
|| ৬৯ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/অ-প্রাইমেট পাখির গান]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৭৯৯
|-
|| ৭০ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/স্নায়ুসংবেদী ইমপ্লান্ট/কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৪৩১
|-
|| ৭১ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/কম্পিউটার মডেল/বাক্ প্রত্যক্ষণ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৮৩২
|-
|| ৭২ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/ব্যথার শারীরবিদ্যা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৯৩৩
|-
|| ৭৩ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/দেহসংবেদী তন্ত্রে স্পর্শলোম]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৫৩০
|-
|| ৭৪ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/অন্যান্য প্রাণী/ইকোলোকেশনকারী দাঁতযুক্ত তিমি]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৭০৫
|-
|| ৭৫ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/দৃষ্টিতন্ত্র/ইন ভিভো ইমেজিং]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৯৮০
|-
|| ৭৬ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/দৃষ্টিতন্ত্র/পুরাতন/সংবেদী অঙ্গের উপাদান]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৮৬৪
|-
|| ৭৭ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/স্নায়ুসংবেদী ইমপ্লান্ট/ভবিষ্যতের দিকনির্দেশনা/অপটোজেনেটিক্স]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৯১৫
|-
|| ৭৮ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/স্নায়ুসংবেদী ইমপ্লান্ট/ভেস্টিবুলার ইমপ্লান্ট]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৫৪৭
|-
|| ৭৯ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/স্নায়ুসংবেদী ইমপ্লান্ট/রেটিনাল ইমপ্লান্ট]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৩৯৭০
|-
|| ৮০ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/লসিকা তন্ত্র]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৮৩৩
|-
|| ৮১ || [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/লম্ব বল ও ঘর্ষণ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৭৫৪
|-
|| ৮২ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/শব্দকোষ/গ-ঘ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৮১
|-
|| ৮৩ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/শব্দকোষ/থ-ধ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৯৮
|-
|| ৮৪ || [[সাধারণ বলবিজ্ঞান/নিয়ন্ত্রিত গতি]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৬০৮
|-
|| ৮৫ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/শব্দকোষ/ক-খ]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৮১
|-
|| ৮৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:মাছের টিক্কি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৩০
|-
|| ৮৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:রস পিঠা]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২২৩
|-
|| ৮৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:কুমড়ো ঘন্ট]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২১২
|-
|| ৮৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:আমের টক]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৫৬
|-
|| ৯০ || [[রন্ধনপ্রণালী:মিষ্টি পুলি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৮৩
|-
|| ৯১ || [[রন্ধনপ্রণালী:গোমাংস ভুনা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২০৩
|-
|| ৯২ || [[রন্ধনপ্রণালী:সবজি নুডলস]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২১০
|-
|| ৯৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:মাংসের চচ্চড়ি]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২১১
|-
|| ৯৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:বিফ স্যুপ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৯৫
|-
|| ৯৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:লাল সেমাই]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৯৮
|-
|| ৯৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:কোরমা খিচুড়ি]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৭৭
|-
|| ৯৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:পাবদা মাছের ঝোল]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২০৭
|-
|| ৯৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:গরুর রেজালা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৯৪
|-
|| ৯৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:মুরগির কাটলেট]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৬৭
|-
|| ১০০ || [[রন্ধনপ্রণালী:চাপাটি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৯১
|-
|| ১০১ || [[রন্ধনপ্রণালী:বিফ কালিয়া]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৬৩
|-
|| ১০২ || [[রন্ধনপ্রণালী:মুরগি ভুনা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৩৪
|-
|| ১০৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিকেন কারি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৫৩
|-
|| ১০৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:নান রুটি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৬৮
|-
|| ১০৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:বুটের বড়া]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৪৪
|-
|| ১০৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:মুগডালের বড়া]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৩৬
|-
|| ১০৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:মুরগির কোপ্তা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩১৯
|-
|| ১০৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:শসা ভর্তা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৮২
|-
|| ১০৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:মটর ডাল]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২১৮
|-
|মোট পাতা:||১০৯||মোট শব্দ:||১৭৯৫৭১
|}
== [[বাবহারকারী:RDasgupta2020|RDasgupta2020]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|| ১ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/MIMO সিস্টেম]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১০৫০
|-
|| ২ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/ম্যাট্রিক্স অপারেশন]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১২৩৫
|-
|| ৩ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/ওপেন সোর্স টুল/সাইল্যাব]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৭০৮
|-
|| ৪ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/বাস্তবায়ন]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৪৮৭
|-
|| ৫ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/সিস্টেম বিলম্ব]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৯৩৪
|-
|| ৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:চাল পটল]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৪৪
|-
|| ৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:সর্ষে ফুলের বড়া]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৮১
|-
|| ৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:দুধ মুগ পটল]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৪২
|-
|| ৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:গন্ধরাজ পটল]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২০৭
|-
|| ১০ || [[রন্ধনপ্রণালী:হিং-এর কচুরি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৬৫
|-
|| ১১ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিংড়ি মাছের বিরিয়ানি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৩৭
|-
|| ১২ || [[রন্ধনপ্রণালী:পমফ্রেট সর্ষে পোস্ত]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৫৫
|-
|| ১৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:কুমড়োর বড়া]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২০২
|-
|| ১৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:বকফুলের বড়া]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৩৯
|-
|| ১৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিচিঙ্গা ভর্তা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৩১
|-
|| ১৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিংড়ির পুরভরা বেগুনভাজা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৪৭
|-
|| ১৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:রুই মাছ ভুনা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৭২
|-
|| ১৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:মোচার পুর দিয়ে পাটিসাপটা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৪১২
|-
|| ১৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:মালাই পাবদা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৩৪
|-
|| ২০ || [[রন্ধনপ্রণালী:গন্ধরাজ ঘোল পোলাও]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৪১৪
|-
|| ২১ || [[রন্ধনপ্রণালী:গন্ধরাজ ভাপা মাছ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৪১৪
|-
|| ২২ || [[রন্ধনপ্রণালী:কাঁচা আমের চিলি চিকেন]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৪৯
|-
|| ২৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:তিল পটল]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৫৬
|-
|| ২৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:পোস্ত দিয়ে পাঁঠার মাংস]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৯৮
|-
|| ২৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:ডিম বেগুনের ভর্তা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৯০
|-
|| ২৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:মুলো ছেঁচকি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৫৮
|-
|| ২৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:লাউ ছেঁচকি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৭২
|-
|| ২৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:লেবুর কাজি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২১৭
|-
|| ২৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:ডাবের জল আর শাঁস দিয়ে পুডিং]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৪২
|-
|| ৩০ || [[রন্ধনপ্রণালী:কাঁচা আম দিয়ে পনির ভাপা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৫১
|-
|| ৩১ || [[রন্ধনপ্রণালী:তেঁতুলের শরবত]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৭০
|-
|| ৩২ || [[রন্ধনপ্রণালী:বেলের পানার শরবত]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৬৬
|-
|| ৩৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:পুর ভরা ঝিঙে]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৭৪
|-
|| ৩৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:পোস্তর বাটিচচ্চড়ি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৫৮
|-
|| ৩৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:ইলিশের একচড়া]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩১৭
|-
|| ৩৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:মুলোর ঘণ্ট]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৩৫
|-
|| ৩৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:কমলালেবু দিয়ে কই মাছ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৪০২
|-
|| ৩৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:সজনে ডাঁটার পোড়া ভর্তা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৭৮
|-
|| ৩৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:ছানার চচ্চড়ি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৫৬
|-
|| ৪০ || [[রন্ধনপ্রণালী:ডিম সর্ষে]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২০৬
|-
|| ৪১ || [[রন্ধনপ্রণালী:দুধ লাউ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৩০
|-
|| ৪২ || [[রন্ধনপ্রণালী:কুমড়োর ছেঁচকি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৫৮
|-
|| ৪৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:এঁচোড়ের বিরিয়ানি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৪৫৭
|-
|| ৪৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:কুমড়ো ভাপা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২০৩
|-
|| ৪৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:কুদরির তরকারি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২১৬
|-
|| ৪৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:বোয়াল মাছের কষা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩২০
|-
|| ৪৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:শিং মাছ ভুনা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২০৭
|-
|| ৪৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:বোয়াল মাছের তেল ঝাল]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩১১
|-
|| ৪৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:ঢেঁড়স আলুর তরকারি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৭৪
|-
|| ৫০ || [[রন্ধনপ্রণালী:চন্দ্রপুলি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৮৫
|-
|| ৫১ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/সিস্টেম উপস্থাপন]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৬৩
|-
|| ৫২ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/সিস্টেম মডেলিং]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১২৩৯
|-
|| ৫৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:মোহন ভোগ মিষ্টি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৪৭৫
|-
|| ৫৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:বৈকুন্ঠ ভোগ মিষ্টি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৫০
|-
|| ৫৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:দিলখুশ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৩৮
|-
|| ৫৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:আমসত্ত্ব সন্দেশ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২০৩
|-
|| ৫৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:পাকা আমের কালাকান্দ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩১৯
|-
|| ৫৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:ইলিশ পেটি সন্দেশ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩০৭
|-
|| ৫৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:মতিচুরের পায়েস]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২০৯
|-
|| ৬০ || [[রন্ধনপ্রণালী:মনোহরা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩০৫
|-
|| ৬১ || [[রন্ধনপ্রণালী:মেচা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৪৭
|-
|| ৬২ || [[রন্ধনপ্রণালী:কলার থোড়ের ঘন্ট]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৬৫
|-
|| ৬৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:হালিম]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৪৭৬
|-
|| ৬৪ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/আধুনিক নিয়ন্ত্রণ]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ১১৩
|-
|| ৬৫ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/টারবাইন ব্লেডের শব্দ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৯৮৬
|-
|| ৬৬ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/বেসেল ফাংশন ও কেটলড্রাম]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১১৫৫
|-
|| ৬৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:কলার থোড়ের চচ্চড়ি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৯৬
|-
|| ৬৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:ল্যাটা মাছের বাটি পোড়া]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৬৩
|-
|| ৬৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:ল্যাটা মাছের ঝাল]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৯৬
|-
|| ৭০ || [[রন্ধনপ্রণালী:মোচার পাতুরি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩২১
|-
|| ৭১ || [[রন্ধনপ্রণালী:শিউলি পাতার বড়া]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩০৬
|-
|| ৭২ || [[রন্ধনপ্রণালী:মোচার চপ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৭০
|-
|| ৭৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:ডুমুরের তরকারি]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৬২
|-
|| ৭৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:ঝিঙে বাটা]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৫৮
|-
|| ৭৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:মাছের ডিম ভাপা]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৭০
|-
|| ৭৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:কুমড়োর ছক্কা]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৬৪
|-
|| ৭৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:ঝিঙে জলবড়া]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৫৮
|-
|| ৭৮ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/রৈখিক সিস্টেম সমাধান]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৩৭৩
|-
|| ৭৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:বাসন্তী পোলাও]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৬৮
|-
|| ৮০ || [[রন্ধনপ্রণালী:কাতলা মাছের রেজালা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৪০৫
|-
|| ৮১ || [[রন্ধনপ্রণালী:শিম চিংড়ি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৩১
|-
|| ৮২ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/শৈলীর নির্দেশিকা]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৩৬৯
|-
|| ৮৩ || [[রাজনৈতিক যোগাযোগের উপাদান/সাধারণ নির্দেশিকা/শব্দ]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ১৩১
|-
|| ৮৪ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/বলকৃত দোলন (সাধারণ স্প্রিং-ভর সিস্টেম)]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ২৯৩
|-
|| ৮৫ || [[রাজনৈতিক যোগাযোগের উপাদান/সাধারণ নির্দেশিকা/গুরুত্ব]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ১৪২
|-
|| ৮৬ || [[রাজনৈতিক যোগাযোগের উপাদান/সাধারণ নির্দেশিকা/বিন্যাস]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ২২১
|-
|| ৮৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:ঝিঙে আলু পোস্ত]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৮৬
|-
|| ৮৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:দইয়ের মালপোয়া]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৯৭
|-
|| ৮৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:মানকচুর জিলিপি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৪১
|-
|| ৯০ || [[রন্ধনপ্রণালী:মিষ্টি কুমড়ার পায়েস]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৮৯
|-
|| ৯১ || [[রন্ধনপ্রনালী:শিমের ঝাল]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৪০
|-
|| ৯২ || [[রন্ধনপ্রনালী:শিম পোস্ত]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৯৬
|-
|| ৯৩ || [[রন্ধনপ্রনালী:শিমের ঝোল]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৮৪
|-
|| ৯৪ || [[রন্ধনপ্রনালী:শিম বেগুনের তরকারি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩১৩
|-
|| ৯৫ || [[রাজনৈতিক যোগাযোগের উপাদান/ডিজিটাল মিডিয়া নির্দেশিকা/ওয়েবসাইট]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৫২২
|-
|| ৯৬ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/সমাধান পদ্ধতি: তড়িৎ-যান্ত্রিক সাদৃশ্য]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৪০৮
|-
|| ৯৭ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/সমতল তরঙ্গের প্রতিফলন ও সঞ্চালন]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৭০৬
|-
|| ৯৮ || [[রাজনৈতিক যোগাযোগের উপাদান/সাধারণ নির্দেশিকা/সংক্ষিপ্ততা]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ১৩৩
|-
|| ৯৯ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/অবমন্দিত যান্ত্রিক সিস্টেমের বৈশিষ্ট্যনির্ণয়]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৫৯৭
|-
|| ১০০ || [[উইকিশৈশব:কণা/পদার্থের তিন দশা]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৮৮
|-
|| ১০১ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/সমতলীয় তরঙ্গের প্রতিফলন ও সঞ্চালন]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৭৩৩
|-
|| ১০২ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/তড়িৎ-যান্ত্রিক সাদৃশ্যের সমাধান পদ্ধতি]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৪৪১
|-
|| ১০৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:ছানার পাতুরি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩৪৯
|-
|| ১০৪ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/তড়িৎ-যান্ত্রিক সাদৃশ্য]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৯৬৭
|-
|| ১০৫ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/ফিল্টার ডিজাইনের প্রস্তাবনা]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২১০
|-
|| ১০৬ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/সীমান্ত শর্তাবলী ও বলকৃত কম্পন]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৯৫৯
|-
|| ১০৭ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/চলন্ত অনুরণক]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ১৫৯
|-
|| ১০৮ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/অরৈখিকতার শব্দীয় পরামিতি]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ১০৪৫
|-
|| ১০৯ || [[উইকিশৈশব:কণা/কণার মডেল]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৩৯৬
|-
|| ১১০ || [[উইকিশৈশব:কণা/গ্যাসের চাপ]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৬৭৫
|-
|| ১১১ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/সীমান্ত শর্তাবলী ও তরঙ্গের বৈশিষ্ট্য]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৭৭৫
|-
|| ১১২ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিংড়ি মুসুড়ি ভর্তা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩২০
|-
|| ১১৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:গোলবাড়ির মাংস]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৪৫৯
|-
|| ১১৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:মাটনের কবিরাজি কাটলেট]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৪২৩
|-
|| ১১৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:ভেটকি মাছের কবিরাজি কাটলেট]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩৫০
|-
|| ১১৬ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/ফাইল এক্সটেনশন দেখানো/লুকানো]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৩৪৪
|-
|| ১১৭ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/সুইফট ভেরিয়েবল উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২৪২
|-
|| ১১৮ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/সি-শার্প ভেরিয়েবল উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২৮০
|-
|| ১১৯ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/পর্যালোচনা: ফাউন্ডেশন টপিকস গ্রুপ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৪৬
|-
|| ১২০ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিংড়ি কাবাব]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৮৩
|-
|| ১২১ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/অনুশীলন: অবজেক্ট-ওরিয়েন্টেড প্রোগ্রামিং]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৪২৪
|-
|| ১২২ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/অবজেক্ট-ওরিয়েন্টেড প্রোগ্রামিং]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৬১
|-
|| ১২৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:তেঁতুলে চিংড়ি]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩৩৯
|-
|| ১২৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:ভেটকি রোস্ট]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩৭৮
|-
|| ১২৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:তেল কই]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৮৯
|-
|| ১২৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:বোরোলি মাছের পাতুরি]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৬৯
|-
|| ১২৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:শসা চিংড়ির কারি]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৫৭
|-
|| ১২৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:বোরোলি মাছের তেল-ঝাল]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৮৯
|-
|| ১২৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:কই মাছের হরগৌরী]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩৫৫
|-
|| ১৩০ || [[রন্ধনপ্রনালী:টঙ্কা তোরানি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৭৮
|-
|| ১৩১ || [[রন্ধনপ্রনালী:কাঁচা আম দিয়ে পটলের চচ্চড়ি]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৫৭
|-
|| ১৩২ || [[রন্ধনপ্রনালী:ভেটকি মাছের চারমৌলি]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৬১
|-
|| ১৩৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিংড়ি পোস্তো]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৬৪
|-
|| ১৩৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:গলদা চিংড়ি রসা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৯২
|-
|| ১৩৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিতল মাছের তেল ঝাল]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৬১
|-
|| ১৩৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিতল মাছের কালিয়া]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩৩৯
|-
|| ১৩৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিতল মাছের রসা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৮২
|-
|| ১৩৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:তন্দুরি চিংড়ি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩৬০
|-
|| ১৩৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:এঁচড় চিংড়ি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৯৪
|-
|| ১৪০ || [[রন্ধনপ্রণালী:ইলিশ কাবাব]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩১৩
|-
|| ১৪১ || [[রন্ধনপ্রণালী:ইলিশ মাছের মালাইকারি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৩৫
|-
|| ১৪২ || [[রন্ধনপ্রনালী:আমের ফিরনি]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৬৯
|-
|| ১৪৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিংড়ি কচু]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ৩০০
|-
|| ১৪৪ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/সিলেকশন কন্ট্রোল স্ট্রাকচার]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৪৭৩
|-
|| ১৪৫ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/পর্যালোচনা: উন্নত বিষয় গ্রুপ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৪৫
|-
|| ১৪৬ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/গুরুত্বপূর্ণ প্রাথমিক চলকসমূহ]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৭৩৯
|-
|| ১৪৭ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/ইউনারি অপারেশন]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৬৯২
|-
|| ১৪৮ || [[রন্ধনপ্রনালী:খস খস শরবত]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৪০
|-
|| ১৪৯ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/প্যারামিটার এবং আর্গুমেন্ট]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৭৫৪
|-
|| ১৫০ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/পর্যালোচনা: মডুলার প্রোগ্রামিং গ্রুপ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৪৬
|-
|| ১৫১ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/পর্যালোচনা: স্ট্রাকচার্ড প্রোগ্রামিং গ্রুপ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৬৮
|-
|| ১৫২ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিতল মাছের মুইঠ্যা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৩৩
|-
|| ১৫৩ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/ফিল্টার ডিজাইনের রূপরেখা]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৯১
|-
|| ১৫৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:ভেটকি বেগম বাহার]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩২১
|-
|| ১৫৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:ফুলকপি সর্ষে]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৩৭
|-
|| ১৫৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:বোরোলি মাছের চচ্চড়ি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৩১
|-
|| ১৫৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:বোরোলি মাছের ঝোল]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩১৫
|-
|| ১৫৮ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/অনুশীলন: স্ট্রিং এবং ফাইল]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ১৪৮৫
|-
|| ১৫৯ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/অ্যারে অনুসন্ধান]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৫২৫
|-
|| ১৬০ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিংড়ি কাসুন্দি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৭২
|-
|| ১৬১ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিংড়ি মুগের ডাল]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৮৪
|-
|| ১৬২ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/অনুশীলন: স্ট্যান্ডার্ড লাইব্রেরি]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৫১১
|-
|| ১৬৩ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/ফাংশনের জন্য স্যুডোকোড উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ২২৫
|-
|| ১৬৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:সাদা ইলিশ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৭৩
|-
|| ১৬৫ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/অনুশীলন: নির্দিষ্ট কাজের ফাংশন]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৬৮১
|-
|| ১৬৬ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/স্ট্যান্ডার্ড লাইব্রেরি]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ১১২০
|-
|| ১৬৭ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/রিটার্ন স্টেটমেন্ট]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৫৮৬
|-
|| ১৬৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:কলমি চিংড়ি ভাজা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৭৬
|-
|| ১৬৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:রন্ধনপ্রণালী:ভেটকি পোস্তো]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৬৪
|-
|| ১৭০ || [[রন্ধনপ্রণালী:খেজুর চিংড়ি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৮৮
|-
|| ১৭১ || [[রন্ধনপ্রণালী:ইলিশ মাছের মুড়িঘন্ট]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৩৮
|-
|| ১৭২ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিংড়ি মাছের ঘুগনি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩১৩
|-
|| ১৭৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:আম চিংড়ী]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৩৪
|-
|| ১৭৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিংড়ি মধুক্ষীরা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৫৯
|-
|| ১৭৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:শিংমাছে করোলা চচ্চড়ি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৯০
|-
|| ১৭৬ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/নেস্টেড ইফ দেন এলস]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৪৯৩
|-
|| ১৭৭ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/বহুমাত্রিক অ্যারে]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৬৭৮
|-
|| ১৭৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:লাউপাতার খিলিতে কাচকি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩১৫
|-
|| ১৭৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:রুপচাদা দোপেঁয়াজা]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩১৬
|-
|| ১৮০ || [[রন্ধনপ্রণালী:মাছের ডিমের পুঁইখিলি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৬৭
|-
|| ১৮১ || [[রন্ধনপ্রণালী:কই মাছের দোপেঁয়াজা]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৮৪
|-
|| ১৮২ || [[রন্ধনপ্রণালী:দোমাছা]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৮১
|-
|| ১৮৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:গোকুল পিঠে]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৬৯
|-
|| ১৮৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:ছানা গজা]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৭১
|-
|| ১৮৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:ছানাবড়া]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩৩৭
|-
|| ১৮৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:রসাবলী]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৩৬
|-
|| ১৮৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:সাগর দই]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৮১
|-
|| ১৮৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:ছানার জিলিপি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৬৭
|-
|| ১৮৯ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/মডুলার প্রোগ্রামিং]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ২১৫৪
|-
|| ১৯০ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/ইনপুট-প্রসেস-আউটপুট মডেল]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৪৮৩
|-
|| ১৯১ || [[রন্ধনপ্রণালী:পেঁয়াজের পায়েস]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৬৬
|-
|| ১৯২ || [[রন্ধনপ্রণালী:মালাই সন্দেশ]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২১২
|-
|| ১৯৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:রাজভোগ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩১৪
|-
|| ১৯৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:সজনে ফুল ভাজি]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২৩৪
|-
|| ১৯৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:নটিশাক]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২২৪
|-
|| ১৯৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:ঘি ভাত]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২৭৪
|-
|| ১৯৭ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/হায়ারার্কি বা স্ট্রাকচার চার্ট]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩৬৪
|-
|| ১৯৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:ঘন দুধের সন্দেশ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩৭৩
|-
|| ১৯৯ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/আইডেন্টিফায়ারের নাম]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৪১১
|-
|| ২০০ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/ইনপুট এবং আউটপুট]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ৪৩২
|-
|| ২০১ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/ফাইল ইনপুট এবং আউটপুট]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ১৯৫৫
|-
|| ২০২ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/ব্রাঞ্চিং স্টেটমেন্ট]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ২১৫০
|-
|মোট পাতা:||২০২||মোট শব্দ:||৮১৩৮৫
|}
== [[বাবহারকারী:Firuz Ahmmed|Firuz Ahmmed]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|| ১ || [[জাপানের ইতিহাস: পুরাণ থেকে জাতিসত্ত্বা/মেইজি যুগ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩১৯৩
|-
|| ২ || [[জাপানের ইতিহাস: পুরাণ থেকে জাতিসত্ত্বা/দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩০০২
|-
|| ৩ || [[জাপানের ইতিহাস: পুরাণ থেকে জাতিসত্ত্বা/এদো যুগ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩০৩৭
|-
|| ৪ || [[জাপানের ইতিহাস: পুরাণ থেকে জাতিসত্ত্বা/কেম্মু পুনরুদ্ধার]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১২৯১
|-
|| ৫ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/উদারবাদ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৪৩১
|-
|| ৬ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/মার্ক্স ও মার্ক্সবাদীরা]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২৬২
|-
|| ৭ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/যুক্তিবিদ্যা/আনুষ্ঠানিক যুক্তি]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৪৮
|-
|| ৮ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/অতীন্দ্রিয়বাদী ধর্মতত্ত্ব ও অতীন্দ্রিয়বাদ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২২০
|-
|| ৯ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/বিজ্ঞান দর্শন]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৫০৪
|-
|| ১০ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/নকশা/নথির বিন্যাস]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৬৯৭
|-
|| ১১ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/প্রাথমিক ধারণা/পুনর্লিখন]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২২১৯
|-
|| ১২ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/স্টেট ফিডব্যাক]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৭৮৫
|-
|| ১৩ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/ওপেন সোর্স টুল/জুলিয়া]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ৪১৮
|-
|| ১৪ || [[ত্রিমাত্রিক মুদ্রণ/রক্ষণাবেক্ষণ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৬
|-
|| ১৫ || [[ত্রিমাত্রিক মুদ্রণ/ইতিহাস]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৯২
|-
|| ১৬ || [[ত্রিমাত্রিক মুদ্রণ/ব্যবহৃত উপকরণ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩৫৮
|-
|| ১৭ || [[ত্রিমাত্রিক মুদ্রণ/উন্নয়ন]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ২২
|-
|| ১৮ || [[ত্রিমাত্রিক মুদ্রণ/রঙিন মুদ্রণ]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ১৩৫
|-
|| ১৯ || [[ত্রিমাত্রিক মুদ্রণ/প্রয়োগসমূহ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৭৫
|-
|| ২০ || [[ত্রিমাত্রিক মুদ্রণ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১১৯
|-
|| ২১ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/কক্ষের মৌলিক শব্দীয় ব্যবস্থাপনা]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৮৯২
|-
|| ২২ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/কম্পিউটার মডেল/দেহসংবেদী তন্ত্র সিমুলেশন]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৮৯৪
|-
|| ২৩ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/মারিম্বার মৌলিক শব্দবিজ্ঞান]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৯৬৬
|-
|| ২৪ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/মাইক্রোফোন কৌশল]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৪৫০
|-
|| ২৫ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/অনুমানকারী ও পর্যবেক্ষক]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৮৯০
|-
|| ২৬ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/ঘ্রাণতন্ত্র/সংবেদী অঙ্গ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৭০
|-
|| ২৭ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/রোটার-স্টেটর মিথস্ক্রিয়া]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৫২৩
|-
|| ২৮ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/শব্দতরঙ্গের অ্যাটেনুয়েশন]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৬৩৪
|-
|| ২৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:মিল্লি ভাত]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৪৪২
|-
|| ৩০ || [[কোয়ান্টাম জগৎ/প্রভাব ও প্রয়োগ/অস্পষ্ট অবস্থান কীভাবে আরও অস্পষ্ট হয়]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ২৭৪
|-
|| ৩১ || [[কোয়ান্টাম জগৎ/প্রভাব ও প্রয়োগ/সময়স্বাধীন শ্রোডিনগার সমীকরণ]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৮৫
|-
|| ৩২ || [[কানাডায় শরনার্থী প্রক্রিয়া/আচরণবিধি]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ১৮৪৫
|-
|| ৩৩ || [[উইকিশৈশব:চলো নাইকার গুহাতে স্ফটিকীকরণ নিয়ে কথা বলি/১৫ - এখন তুমি জানো কীভাবে স্ফটিক তৈরি হয়েছে]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৬৯
|-
|| ৩৪ || [[উইকিশৈশব:চলো নাইকার গুহাতে স্ফটিকীকরণ নিয়ে কথা বলি/১৪ - উভয় গুহায় তাপমাত্রা]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৮৪
|-
|| ৩৫ || [[উইকিশৈশব:চলো নাইকার গুহাতে স্ফটিকীকরণ নিয়ে কথা বলি/১৩ - স্ফটিকের গুহায় স্ফটিক গঠন]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৯৯
|-
|| ৩৬ || [[উইকিশৈশব:চলো নাইকার গুহাতে স্ফটিকীকরণ নিয়ে কথা বলি/১১ - অণুগুলো স্তরে স্তরে একত্রিত হয়]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৮১
|-
|| ৩৭ || [[উইকিশৈশব:চলো নাইকার গুহাতে স্ফটিকীকরণ নিয়ে কথা বলি/১০ - জিপসাম স্ফটিকের পরমাণু ও অণু]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৯০
|-
|| ৩৮ || [[উইকিশৈশব:চলো নাইকার গুহাতে স্ফটিকীকরণ নিয়ে কথা বলি/৮ - কাচ ও স্ফটিকের অণু]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৮৩
|-
|| ৩৯ || [[উইকিশৈশব:চলো নাইকার গুহাতে স্ফটিকীকরণ নিয়ে কথা বলি/৭ - সবকিছু পরমাণু দিয়ে গঠিত]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৭৭
|-
|| ৪০ || [[উইকিশৈশব:চলো নাইকার গুহাতে স্ফটিকীকরণ নিয়ে কথা বলি/৬ - কাচ ও স্ফটিক]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৭৩
|-
|| ৪১ || [[উইকিশৈশব:চলো নাইকার গুহাতে স্ফটিকীকরণ নিয়ে কথা বলি/৫ - উভয় গুহায় জিপসাম স্ফটিক]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৬৭
|-
|| ৪২ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/জেফারসনীয় গণতন্ত্র]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ২১২০
|-
|| ৪৩ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/ধর্মীয় আন্দোল]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৯৩৯
|-
|| ৪৪ || [[উইকিশৈশব:চলো নাইকার গুহাতে স্ফটিকীকরণ নিয়ে কথা বলি/৪ - স্ফটিকের গুহা]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৭০
|-
|| ৪৫ || [[উইকিশৈশব:চলো নাইকার গুহাতে স্ফটিকীকরণ নিয়ে কথা বলি/২ - নাইকার গুহাসমূহ]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৬৬
|-
|| ৪৬ || [[উইকিশৈশব:চলো নাইকার গুহাতে স্ফটিকীকরণ নিয়ে কথা বলি/৩ - তরবারির গুহা]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৬৮
|-
|| ৪৭ || [[কোয়ান্টাম জগৎ/প্রভাব ও প্রয়োগ/সম্ভাব্যতার প্রবাহ]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৩৪৯
|-
|| ৪৮ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/দৃষ্টিতন্ত্র/চিত্র প্রক্রিয়াকরণ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৭৬০
|-
|| ৪৯ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/সিস্টেম ডেভেলপমেন্ট লাইফ সাইকেল]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৫৫১
|-
|| ৫০ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/স্ট্রাকচার্ড প্রোগ্রামিং]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৬৭৪
|-
|| ৫১ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/সি++ ভেরিয়েবল উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৫৬০
|-
|| ৫২ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/জাভা ভেরিয়েবল উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৪৫৯
|-
|| ৫৩ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/টাইপডেফ সহ বহুমুখী কোড]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৪৩০
|-
|| ৫৪ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/গেইন]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৫১
|-
|| ৫৫ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/অনুশীলন: লুপের আগে পরীক্ষা]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৪৬০
|-
|| ৫৬ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/স্যুডোকোড]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৩৫৬
|-
|| ৫৭ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/ফ্ল্যাগ ধারণা/ওশেনিয়ার ফ্ল্যাগ]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ২৮
|-
|| ৫৮ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/ঘ্রাণতন্ত্র/সংবেদী অঙ্গের উপাদান]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৭৯৩
|-
|| ৫৯ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/স্নায়ুসংবেদী ইমপ্লান্ট/দৃষ্টি ইমপ্লান্ট]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৮৯
|-
|| ৬০ || [[মাধ্যমিক পদার্থবিজ্ঞান/সংক্ষিপ্ত দৃষ্টিপাত]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৪৮০
|-
|| ৬১ || [[মাধ্যমিক পদার্থবিজ্ঞান/পদার্থবিজ্ঞান পরীক্ষা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৮৪
|-
|| ৬২ || [[মাধ্যমিক পদার্থবিজ্ঞান/নিউটনের আপেল]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৭১
|-
|| ৬৩ || [[মাধ্যমিক পদার্থবিজ্ঞান/ঘূর্ণন গতি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৬৭
|-
|| ৬৪ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/ম্যানাকিন পাখির অনুরণিত পালক]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৬৯৪
|-
|| ৬৫ || [[মাধ্যমিক পদার্থবিজ্ঞান/সহজ দোলন]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৯৬
|-
|| ৬৬ || [[মাধ্যমিক পদার্থবিজ্ঞান/তরঙ্গ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৮৭
|-
|| ৬৭ || [[মাধ্যমিক পদার্থবিজ্ঞান/বেগ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৯৬
|-
|| ৬৮ || [[মাধ্যমিক পদার্থবিজ্ঞান/মহাকর্ষ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৬৬
|-
|| ৬৯ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/কক্ষ শব্দবিজ্ঞান ও কনসার্ট হল]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৬২৬
|-
|| ৭০ || [[রন্ধনপ্রণালী:চপ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৪৯
|-
|| ৭১ || [[রন্ধনপ্রণালী:কাচকি মাছ ভাজি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩১৫
|-
|| ৭২ || [[রন্ধনপ্রণালী:কাচকি মাছের চচ্চড়ি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৭৮
|-
|| ৭৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:লেটুস পাতা ভাজি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩২১
|-
|| ৭৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:সজনে পাতার ভাজি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৩৪
|-
|| ৭৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:কচুর লতি ভাজি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৩০
|-
|| ৭৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:ময়দার নুডলস]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৪৮১
|-
|| ৭৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:কাঁচকলার ডালনা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৭৭
|-
|| ৭৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:টক দই চাট]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩২৩
|-
|| ৭৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:ডালের চচ্চড়ি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৯৬
|-
|| ৮০ || [[রন্ধনপ্রণালী:সবজি মিক্স চপ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৫৩
|-
|| ৮১ || [[রন্ধনপ্রণালী:সবজির স্যান্ডউইচ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩১৫
|-
|| ৮২ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/গাড়ির মাফলার]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৯৪৮
|-
|| ৮৩ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/গাড়ির মাফলার: অ্যানিমেশন]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৬৪
|-
|| ৮৪ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/ডিজিটাল সিস্টেম]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১১৯
|-
|| ৮৫ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/সোনার]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৪৪
|-
|| ৮৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:লাল শাক ভর্তা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৪২৬
|-
|| ৮৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:আনারসের আচারি চিকেন]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৫৭৫
|-
|| ৮৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:মিষ্টি কুমড়ার চচ্চড়ি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৪৫৪
|-
|| ৮৯ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/শব্দের গতি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৪৪৪
|-
|| ৯০ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/স্বররজ্জু]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৫৯২
|-
|| ৯১ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/বজ্রপাতের শব্দবিজ্ঞান]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১০৯৪
|-
|| ৯২ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/কর্ণের যান্ত্রিক মডেলিং]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩৯
|-
|| ৯৩ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/উদাহরণসমূহ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩৩
|-
|| ৯৪ || [[কোয়ান্টাম জগৎ/আপেক্ষিকতা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৪৯৩
|-
|| ৯৫ || [[কোয়ান্টাম জগৎ/পরমাণু]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ৮২৯
|-
|| ৯৬ || [[তড়িৎচৌম্বকীয় বিকিরণ/অবলোহিত রশ্মি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১২৩
|-
|| ৯৭ || [[তড়িৎচৌম্বকীয় বিকিরণ/পরিমাপের এককসমূহ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩১০
|-
|| ৯৮ || [[তড়িৎচৌম্বকীয় বিকিরণ/বেতার তরঙ্গ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৪১০
|-
|| ৯৯ || [[তড়িৎচৌম্বকীয় বিকিরণ/বর্ণালীর ব্যান্ডসমূহ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৮৮
|-
|| ১০০ || [[তড়িৎচৌম্বকীয় বিকিরণ/ভূমিকা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৩০
|-
|| ১০১ || [[তড়িৎচৌম্বকীয় বিকিরণ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৬
|-
|| ১০২ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিংড়ি-মুগডালের খিচুড়ি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩২৮
|-
|| ১০৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:দই বড়া]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৪২
|-
|| ১০৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:ডিমের স্যান্ডউইচ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২০৮
|-
|| ১০৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:কাঁচা আম ভর্তা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৯৩
|-
|| ১০৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:লাল শাক ভাজি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২১৮
|-
|| ১০৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:মাছের কোপ্তা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩০৪
|-
|| ১০৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:সাদা পোলাও]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২২৮
|-
|| ১০৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:ডালের বড়া]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২০৭
|-
|| ১১০ || [[রন্ধনপ্রণালী:দুধ পিঠা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৫৬৯
|-
|| ১১১ || [[রন্ধনপ্রণালী:পুঁই শাক]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৪৪১
|-
|| ১১২ || [[রন্ধনপ্রণালী:নেহারি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৬৪৪
|-
|| ১১৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:কাঁচা কলা ভাজি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৫৫
|-
|| ১১৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:কচুশাক]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৫২৯
|-
|| ১১৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:কলমি শাক]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩১৮
|-
|| ১১৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:লাল শাক]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৫৩
|-
|| ১১৭ || [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/গতিশক্তি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১১২
|-
|| ১১৮ || [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/তরল]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ২৯০
|-
|| ১১৯ || [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/বৃত্তাকার গতি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৩১
|-
|| ১২০ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/কম্পাইলার ডিরেক্টিভ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৪৫৭
|-
|| ১২১ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/নেস্টেড লুপ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৬২৬
|-
|| ১২২ || [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/পদার্থবিজ্ঞানের ধ্রুবক]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৪৫
|-
|| ১২৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিংড়ি ভাজা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৮৪
|-
|| ১২৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:ডিমের ঝোল]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৯৮
|-
|| ১২৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিকেন সালাদ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২০৬
|-
|| ১২৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:ডিম সালাদ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৬০
|-
|| ১২৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:মাছের চপ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৫৯
|-
|| ১২৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:ডিম স্যুপ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৪৬
|-
|| ১২৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:সাদা সেমাই]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৬২
|-
|| ১৩০ || [[রন্ধনপ্রণালী:বিফ বার্গার]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৮৪
|-
|| ১৩১ || [[রন্ধনপ্রণালী:সবজি পরোটা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩১৮
|-
|| ১৩২ || [[রন্ধনপ্রণালী:টমেটো ভর্তা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৯৯
|-
|| ১৩৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:সবজি চপ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩০০
|-
|| ১৩৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:দুধ চিঁড়া]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৪৭
|-
|| ১৩৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:ডিম কারি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৫০
|-
|| ১৩৬ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/এল-ভ্যালু এবং আর-ভ্যালু]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৪৫৬
|-
|| ১৩৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:বুটের ঘুগনি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩২৪
|-
|| ১৩৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:মোগলাই পরোটা]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৫৭৪
|-
|| ১৩৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:বোয়াল মাছের ঝোল]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৩৬
|-
|| ১৪০ || [[রন্ধনপ্রণালী:মাগুর মাছের কালিয়া]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৮৭
|-
|| ১৪১ || [[রন্ধনপ্রণালী:রুই মাছের কালিয়া]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৪৭
|-
|| ১৪২ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/টাইপডেফ - একটি উপনাম]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৪৬
|-
|| ১৪৩ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/স্ট্রিং এবং ফাইল]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ১৯১
|-
|| ১৪৪ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/স্ট্রিং ফাংশন]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৬৭
|-
|| ১৪৫ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/স্ট্রিং ফরম্যাটিং]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৯২
|-
|| ১৪৬ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/সুইফট স্ট্রিং উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৪৭০
|-
|| ১৪৭ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/জাভাস্ক্রিপ্ট স্ট্রিং উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৪০১
|-
|| ১৪৮ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/জাভা স্ট্রিং উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৪৪৪
|-
|| ১৪৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:তেলাপিয়া মাছের ভর্তা]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২৪১
|-
|| ১৫০ || [[রন্ধনপ্রণালী:কাঠালের বিচির চচ্চড়ি]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৩৮
|-
|| ১৫১ || [[রন্ধনপ্রণালী:আমড়ার টক]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৩৩
|-
|| ১৫২ || [[রন্ধনপ্রণালী:আলু পুরি]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২৪৯
|-
|| ১৫৩ || [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/কাজ]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ৩৫২
|-
|| ১৫৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:পুরি]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ৩৫৮
|-
|| ১৫৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:পুঁটি মাছ ভাজা]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ১৯৭
|-
|| ১৫৬ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/অ্যারের সাহায্যে গণিত পরিসংখ্যান]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ৩১৯
|-
|| ১৫৭ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/লুপ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৪৪
|-
|| ১৫৮ || [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/স্থির তরঙ্গ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৩৯
|-
|| ১৫৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:লাল চা]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ১৯৭
|-
|| ১৬০ || [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/ইলেকট্রনিক্স]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৭৮৪
|-
|| ১৬১ || [[রন্ধনপ্রণালী:কাঁচা মরিচ ভর্তা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩০৪
|-
|| ১৬২ || [[রন্ধনপ্রণালী:পেঁয়াজ ভর্তা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৮৭
|-
|| ১৬৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:শুকনা মরিচ ভর্তা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৫০
|-
|| ১৬৪ || [[সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/খেলার সমাজবিজ্ঞান]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২৩১
|-
|| ১৬৫ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/ইটারেশন কন্ট্রোল স্ট্রাকচার]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৯৭
|-
|| ১৬৬ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/সুইফট ফাংশন উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৩০
|-
|| ১৬৭ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/স্থির এবং ডাইনামিক অ্যারে]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৫৯
|-
|| ১৬৮ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/অ্যারে সদস্য প্রদর্শন]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ৩৯৫
|-
|| ১৬৯ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/সুইফট শর্তের উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৩৫৮
|-
|| ১৭০ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/ফাংশন]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ১২৭
|-
|| ১৭১ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/ASCII ক্যারেক্টার সেট]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৯৮
|-
|| ১৭২ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/নিজের জ্ঞান যাচাইয়ের উত্তরমালা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৬৫
|-
|মোট পাতা:||১৭২||মোট শব্দ:||৭২১৩৩
|}
== [[বাবহারকারী:Md Mobashir Hossain|Md Mobashir Hossain]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|| ১ || [[অতীন্দ্রিয়বাদ/প্রার্থনা]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ১৬৪৫
|-
|| ২ || [[রন্ধনপ্রণালী:মাকুন্দা পিঠা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৬৮
|-
|| ৩ || [[উইকিশৈশব:গ্ৰাফিতিতে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান/ওই মামা না প্লিজ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১০৯
|-
|| ৪ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/ব্যবসায়িক যোগাযোগ/শুরু]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৩২৩
|-
|| ৫ || [[উইকিশৈশব:গ্ৰাফিতিতে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান/কারার ঐ লৌহকপাট]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৩৬
|-
|| ৬ || [[কোয়ান্টাম জগৎ/প্রভাব ও প্রয়োগ/একটি কোয়ান্টাম বাউন্সিং বল]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২৩৬
|-
|| ৭ || [[চিন্তন ও নির্দেশনা/ভূমিকা]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ৩১৯
|-
|| ৮ || [[কোয়ান্টাম জগৎ/ফেইনম্যান রুট/শেষে শ্রোডিনগার]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২৪৯
|-
|| ৯ || [[উইকিশৈশব:গ্ৰাফিতিতে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান/জেন জি]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৪৭
|-
|| ১০ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/পরিচিতি]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৫৪
|-
|| ১১ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/ভূমিকা]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৯২
|-
|| ১২ || [[উইকিশৈশব:গ্ৰাফিতিতে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান/পানি লাগবে]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৫৫
|-
|| ১৩ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/ঘ্রাণতন্ত্র/ফেরোমোন ও ভোমেরোনাসাল তন্ত্র]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩৬১
|-
|| ১৪ || [[কোয়ান্টাম জগৎ/সম্ভাব্যতা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৭৬৭
|-
|| ১৫ || [[কোয়ান্টাম জগৎ/অনির্দিষ্ট সমাকলন]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৫৯
|-
|| ১৬ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/শব্দীয় লেভিটেশন]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৬১২
|-
|| ১৭ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/বীমফর্মিং]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৩৫
|-
|| ১৮ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/শব্দীয় গিটার]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ৩৮৬
|-
|| ১৯ || [[কোয়ান্টাম জগৎ/ক্যালকুলাস]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৪০১
|-
|| ২০ || [[রন্ধনপ্রণালী:শিং মাছের ঝোল]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২২০
|-
|| ২১ || [[সাধারণ বলবিজ্ঞান/কঠিন বস্তু]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২১৬
|-
|| ২২ || [[রন্ধনপ্রণালী:ঢাকাই পরোটা]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২৮০
|-
|| ২৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:ফালুদা]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২৫৪
|-
|| ২৪ || [[সাধারণ বলবিজ্ঞান/আংশিক উৎপন্ন]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৩১৪
|-
|| ২৫ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/জাভাস্ক্রিপ্ট ভেরিয়েবল উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৫০৬
|-
|| ২৬ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/পাইথন ভেরিয়েবল উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৯৬
|-
|| ২৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:টাকি মাছ ভুনা]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২২৮
|-
|| ২৮ || [[সাধারণ বলবিজ্ঞান/স্থিতিবিদ্যা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৭০
|-
|| ২৯ || [[সাধারণ বলবিজ্ঞান/গতিবিদ্যার মৌলিক নীতিমালা]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৬৫১
|-
|| ৩০ || [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/শব্দ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৪৯০
|-
|| ৩১ || [[রন্ধনপ্রণালী:বিফ নুডলস]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৩৮
|-
|| ৩২ || [[মানব শারীরতত্ত্ব/রক্ত শারীরতত্ত্ব]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৪৫৪০
|-
|| ৩৩ || [[সাধারণ বলবিজ্ঞান/নিউটনের নিয়মের বিকল্প রূপ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৬২৯
|-
|| ৩৪ || [[সাধারণ বলবিজ্ঞান/নিউটনের নিয়ম ব্যবহার করে বিশ্লেষণ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৩২
|-
|| ৩৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:বিফ ভুনা]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৫৭
|-
|| ৩৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিকেন উইংস]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৯৭
|-
|| ৩৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিকেন ফ্রাই]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৩৮
|-
|| ৩৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:ডিমের পুরি]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ২৩৪
|-
|| ৩৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:লাচ্ছা সেমাই]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২০২
|-
|| ৪০ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিকেন নাগেট]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২১০
|-
|| ৪১ || [[রন্ধনপ্রণালী:পায়া]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৩২
|-
|| ৪২ || [[রন্ধনপ্রণালী:শিক কাবাব]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৬৬
|-
|| ৪৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:সর্ষে ইলিশ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৮৯
|-
|| ৪৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:বিফ রোল]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ১২৬
|-
|| ৪৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:রোল]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ১২৭
|-
|| ৪৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিকেন রোল]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৬৫
|-
|| ৪৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:সিঙ্গারা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৯৮
|-
|| ৪৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:লুচি]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৩৯
|-
|| ৪৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:ইলিশ ভাজা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১২২
|-
|| ৫০ || [[রন্ধনপ্রণালী:বেগুনি]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৬৭
|-
|| ৫১ || [[রন্ধনপ্রণালী:বিফ তন্দুরি]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৯৬
|-
|| ৫২ || [[রন্ধনপ্রণালী:মুরগির তন্দুরি]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৯৪
|-
|| ৫৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:ডিম ভুনা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৭৮
|-
|| ৫৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:ডিম পোচ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৪৯
|-
|| ৫৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:তেহারি]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২২২
|-
|| ৫৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:পুঁই শাক চচ্চড়ি]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৯৮
|-
|| ৫৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:পেঁয়াজু]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২০৫
|-
|| ৫৮ || [[লুইস ক্যারল/থ্রু দ্য লুকিং-গ্লাস]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২৮২
|-
|| ৫৯ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/সি++ অবজেক্ট উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২২৪
|-
|| ৬০ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/সি++ পরিচিতি উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২১২
|-
|| ৬১ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/জাভাস্ক্রিপ্ট লুপ উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২৯৬
|-
|| ৬২ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/পাইথন লুপ উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৯৩
|-
|| ৬৩ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/সি-শার্প লুপ উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২৪০
|-
|| ৬৪ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/সি++ লুপ উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২৭৯
|-
|| ৬৫ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/সি++ শর্তের উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৩১৩
|-
|| ৬৬ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/সি++ ফাংশন উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৩৩
|-
|| ৬৭ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/সি-শার্প ফাংশন উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১২৯
|-
|| ৬৮ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/পাইথন ফাংশন উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১১৯
|-
|| ৬৯ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/জাভা ফাংশন উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১২১
|-
|| ৭০ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/জাভাস্ক্রিপ্ট ফাংশন উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৮৫
|-
|| ৭১ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/পাইথন শর্তের উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৫৮
|-
|| ৭২ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/জাভাস্ক্রিপ্ট শর্তের উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ৩৪৭
|-
|| ৭৩ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/সি-শার্প শর্তের উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ২৮৪
|-
|| ৭৪ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/জাভা শর্তের উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ২৯২
|-
|| ৭৫ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৯৩
|-
|| ৭৬ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/সি-শার্প অ্যারে উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ৪০৪
|-
|| ৭৭ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/সি++ অ্যারে উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ৪৯৯
|-
|| ৭৮ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/জাভাস্ক্রিপ্ট অ্যারে উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:Maruf|Maruf]] || ৪২৬
|-
|| ৭৯ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/জাভা অ্যারে উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:Maruf|Maruf]] || ৩৯৫
|-
|| ৮০ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/পাইথন অ্যারে উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:Maruf|Maruf]] || ২৮৭
|-
|| ৮১ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/সি++ অপারেটরের সংক্ষিপ্ত অগ্রাধিকার তালিকা]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৪৮
|-
|মোট পাতা:||৮১||মোট শব্দ:||২৮১৮৮
|}
== [[বাবহারকারী:M.Asaduzzaman sahed|M.Asaduzzaman sahed]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|| ১ || [[সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/সমাজায়ন]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৫২৩
|-
|| ২ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/অন্বেষণ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৩৪৬
|-
|| ৩ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/কেনেডি এবং জনসন]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৫৭৯০
|-
|| ৪ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/ফোর্ড কার্টার রিগ্যান]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৫২২৭
|-
|| ৫ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/পশ্চিমমুখী সম্প্রসারণ এবং প্রকাশ্য নিয়তি]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৪০৩৭
|-
|| ৬ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/উন্নয়নসমূহ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২১৭৩
|-
|| ৭ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/প্রগতিশীল যুগ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২৬০৮
|-
|| ৮ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও পারমাণবিক যুগের উত্থান]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৪৬০২
|-
|| ৯ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/নিক্সন এবং ইন্দোচীন]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৪০০৯
|-
|| ১০ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/আমেরিকান বিপ্লব]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩২৩৪
|-
|| ১১ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/যুদ্ধ, জাতীয়তাবাদ ও বিভাজন]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৮২৭৯
|-
|| ১২ || [[মানব শারীরতত্ত্ব/অনাক্রম্যতন্ত্র]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৮৮৩২
|-
|| ১৩ || [[সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/রাজনীতি]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৩৩৬৮
|-
|| ১৪ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/পতঙ্গ/ঘ্রাণতন্ত্র]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৭২৩
|-
|| ১৫ || [[সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/প্রাতিষ্ঠানিক আচরণ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৯৭৪৯
|-
|| ১৬ || [[সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/গণমাধ্যম]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৬৫৮
|-
|| ১৭ || [[সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/প্রত্যপথগামিতা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৮৪৪
|-
|| ১৮ || [[সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/সামাজিক মনোবিজ্ঞান]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৯৪১০
|-
|| ১৯ || [[মানব শারীরতত্ত্ব/অনুভূতি]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৮৩০৮
|-
|| ২০ || [[সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/সামাজিক কাঠামো]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১০০৫
|-
|| ২১ || [[সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/স্তরীকরণ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৪১০২
|-
|| ২২ || [[সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/সমাজবিজ্ঞানের তত্ত্ব]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৪৭১৫
|-
|| ২৩ || [[সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/মানব বাস্তুসংস্থান ও পরিবেশ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৬০৩
|-
|| ২৪ || [[সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/গোষ্ঠী]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৬৫১৪
|-
|| ২৫ || [[লুইস ক্যারল/ভূমিকা]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ১৭৩
|-
|| ২৬ || [[লুইস ক্যারল/জ্যামিতি এবং যুক্তি]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ১৩৩
|-
|| ২৭ || [[লুইস ক্যারল/প্রাথমিক জীবন]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৪২২
|-
|| ২৮ || [[লুইস ক্যারল/রাজবংশ থেকে আগত]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২৬৩
|-
|| ২৯ || [[লুইস ক্যারল/বংশপরিচয়]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ১৫০১
|-
|| ৩০ || [[লুইস ক্যারল/অ্যালিস ইন ওয়ান্ডারল্যান্ড]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৪৬৪
|-
|| ৩১ || [[লুইস ক্যারল/শিশু বন্ধু ও প্রাপ্তবয়স্ক বন্ধু]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৯০১
|-
|মোট পাতা:||৩১||মোট শব্দ:||১০৮৫১৬
|}
== [[বাবহারকারী:Nettime Sujata|Nettime Sujata]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|| ১ || [[জাপানের ইতিহাস: পুরাণ থেকে জাতিসত্ত্বা/ভূমিকা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩০০৯
|-
|| ২ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/নৈতিকতা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৩৫১
|-
|| ৩ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/প্রশ্নোত্তর]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ১৭১৮
|-
|| ৪ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/শব্দীয় মাইক্রো পাম্প]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৯৫৩
|-
|| ৫ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/শব্দীয় গিটার কীভাবে কাজ করে]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৮৪৫
|-
|| ৬ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/শ্রবণ সুরক্ষা]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১১৮৪
|-
|| ৭ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/মাইক্রোফোন ডিজাইন ও পরিচালনা]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৮৯০
|-
|মোট পাতা:||৭||মোট শব্দ:||১১৯৫০
|}
== [[বাবহারকারী:Md.Farhan Mahmud|Md.Farhan Mahmud]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|| ১ || [[কোয়ান্টাম জগৎ/খেলা]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২১৫
|-
|মোট পাতা:||১||মোট শব্দ:||২১৫
|}
== [[বাবহারকারী:Salil Kumar Mukherjee|Salil Kumar Mukherjee]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|| ১ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/সূচিপত্র]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৪৭৫
|-
|| ২ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/মূল বিষয়সূচি]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩৯৪
|-
|| ৩ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/উৎস নথিভুক্তকরণ/MLA শৈলী পাদটীকা ও অন্তটীকা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩৬১
|-
|| ৪ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/উৎস নথিভুক্তকরণ/MLA শৈলী সংক্ষিপ্ত উদ্ধৃতি]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৭৩
|-
|| ৫ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/উৎস নথিভুক্তকরণ/APA শৈলী পাঠ্যভিত্তিক উদ্ধৃতি]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৬৪
|-
|| ৬ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/উৎস নথিভুক্তকরণ/পাঠ্যের মধ্যে উদ্ধৃতির অবস্থান]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৪২
|-
|| ৭ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/উৎস নথিভুক্তকরণ/উদ্ধৃতির মৌলিক নির্দেশিকা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৩০
|-
|| ৮ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/উৎস নথিভুক্তকরণ/সঠিক নথিভুক্তি নির্বাচন]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১২৪
|-
|| ৯ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৩৮
|-
|| ১০ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/উৎস নথিভুক্তকরণ/উৎস নথিভুক্তির কারণ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৭৮
|-
|| ১১ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/গ্রন্থের ইতিহাস]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩৯৫
|-
|| ১২ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/প্রাথমিক ধারণা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৭৩
|-
|| ১৩ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/উৎসর্গ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৪১
|-
|| ১৪ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/হাইড্রোলিক সিস্টেমে কোলাহল]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৭০০
|-
|| ১৫ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/অরৈখিক সিস্টেম]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৯০
|-
|মোট পাতা:||১৫||মোট শব্দ:||৫২৭৮
|}
== [[বাবহারকারী:Farihat Mahirah|Farihat Mahirah]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|| ১ || [[জাপানের ইতিহাস: পুরাণ থেকে জাতিসত্ত্বা/সামরিকতন্ত্রের উত্থান]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৩৭১
|-
|মোট পাতা:||১||মোট শব্দ:||৩৭১
|}
== [[বাবহারকারী:নিয়াজ ইসলাম|নিয়াজ ইসলাম]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|| ১ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/যুক্তিবিদ্যা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩২৬
|-
|| ২ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/যুক্তিবিদ্যা/ন্যান্ড ও নর]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ১৬৩
|-
|| ৩ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/সম্পাদনার জন্য উপকরণ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১২০
|-
|| ৪ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/পাতা উল্টানোর নির্দেশনা]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৩৫
|-
|| ৫ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/উৎস নথিভুক্তকরণ/MLA শৈলী]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৫৪
|-
|| ৬ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/উৎস নথিভুক্তকরণ/APA শৈলী]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১১৭
|-
|| ৭ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/উৎস নথিভুক্তকরণ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৬০
|-
|| ৮ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/প্রচ্ছদ]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ১৪০
|-
|| ৯ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/লেখক/MK]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৪৮
|-
|| ১০ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/যুক্তিবিদ্যা/গ্রন্থপঞ্জি]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৮৩
|-
|| ১১ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/যুক্তিবাদ]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ১১২
|-
|| ১২ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/দর্শন করা বলতে কী বোঝায়?]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১০০
|-
|| ১৩ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/জেন বৌদ্ধধর্ম]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ১৭৬
|-
|| ১৪ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/মানক ফর্ম]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৮০৭
|-
|| ১৫ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/লেখকবৃন্দ]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৩৮
|-
|| ১৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:মসুর ডাল]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২২৪
|-
|| ১৭ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/সূচীপত্র]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৯৬
|-
|| ১৮ || [[সাধারণ বলবিজ্ঞান/সূচক সংজ্ঞা]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ১৩২
|-
|| ১৯ || [[সাধারণ বলবিজ্ঞান/বহু কণার গতি]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ১০২
|-
|| ২০ || [[সাধারণ বলবিজ্ঞান/মাখের নীতি]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ১৯
|-
|| ২১ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/প্রচ্ছদ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৪
|-
|| ২২ || [[সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/সামরিক বাহিনী]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১২০
|-
|| ২৩ || [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ৯২
|-
|| ২৪ || [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/পদার্থবিজ্ঞানের উদ্দেশ্য]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৬
|-
|| ২৫ || [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/উদ্দেশ্য]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৬৩
|-
|| ২৬ || [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/ঘর্ষণ সহগ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১০১
|-
|| ২৭ || [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/ভরকেন্দ্র]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৪
|-
|| ২৮ || [[লুইস ক্যারল]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৪৫
|-
|| ২৯ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/ভূমিকা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৮২
|-
|| ৩০ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/শব্দকোষ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২১
|-
|| ৩১ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/হৃদযন্ত্র]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ২৫
|-
|| ৩২ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/স্বীকৃতি]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৩৬
|-
|| ৩৩ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৭২
|-
|| ৩৪ || [[তত্ত্ব শিখন/প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষণ: আন্তঃপ্রতিষ্ঠানিক]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৪৭৩
|-
|| ৩৫ || [[তত্ত্ব শিখন]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৯০
|-
|মোট পাতা:||৩৫||মোট শব্দ:||৫৬৪৬
|}
== [[বাবহারকারী:Parishexplorer|Parishexplorer]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|মোট পাতা:||০||মোট শব্দ:||০
|}
== [[বাবহারকারী:Ridnin Riz|Ridnin Riz]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|| ১ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/উৎস নথিভুক্তকরণ/MLA শৈলী সারণি ও চিত্র]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৪১৮
|-
|মোট পাতা:||১||মোট শব্দ:||৪১৮
|}
== [[বাবহারকারী:Sheikh Mehedi Hassan|Sheikh Mehedi Hassan]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|| ১ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/যুক্তিবিদ্যা/ভূমিকা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৭৫১
|-
|| ২ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/আধ্যাত্মিক অভিজ্ঞতা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩৪৬
|-
|| ৩ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/জ্ঞানতত্ত্ব কী?]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৪৪১
|-
|| ৪ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/যুক্তিবিদ্যা/ত্রুটি নির্ণয়]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৮০
|-
|| ৫ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/স্বাধীনতাবাদ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২২৭
|-
|| ৬ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/অলঙ্করণ/অলঙ্করণাল কাঠামো]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৬৩৪
|-
|| ৭ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/অলঙ্করণ/লেখক]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ১৩৪২
|-
|| ৮ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/নির্দেশাবলি/চিত্র]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৫২৭
|-
|| ৯ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/সম্পদ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৭৫৮
|-
|| ১০ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/অলঙ্করণ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১০৩৯
|-
|| ১১ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/অলঙ্করণ/শ্রোতা]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৫৬৬
|-
|| ১২ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/অলঙ্করণ/প্রসঙ্গ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৪৭০
|-
|| ১৩ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/অলঙ্করণ/বিষয়]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩৩৮
|-
|| ১৪ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/উৎস নথিভুক্তকরণ/APA শৈলী রেফারেন্স তালিকা]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৬১৯
|-
|| ১৫ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/ট্রান্সফার ফাংশন]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৬১৮
|-
|| ১৬ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/অলঙ্করণ/উদ্দেশ্য]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৯৬৭
|-
|| ১৭ || [[সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/সমাজবিজ্ঞানীয় পদ্ধতি]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ৪৭৩৪
|-
|| ১৮ || [[সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/বিশিষ্ট সমাজবিজ্ঞানী]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২০১
|-
|| ১৯ || [[মানব শারীরতত্ত্ব/নারী প্রজননতন্ত্র]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৭৫৫৪
|-
|| ২০ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/বেস রিফ্লেক্স এনক্লোজার ডিজাইন]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ১৪৫০
|-
|| ২১ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/কি-ওয়ার্ড]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৩৪
|-
|| ২২ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকার/মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টীকাযুক্ত সংবিধান]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ৫৮৭৮
|-
|| ২৩ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/ঔপনিবেশিক ধর্ম]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৪৪৩
|-
|| ২৪ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/তৃতীয় পক্ষ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৭৫২
|-
|| ২৫ || [[আইবি আমেরিকা ইতিহাস]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ১৩৪৪
|-
|| ২৬ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/ক্লারিনেটের শব্দবিজ্ঞান]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৭৪৬
|-
|| ২৭ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/ম্যাটল্যাব]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৪০৬
|-
|| ২৮ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/শক-তরঙ্গের গুণগত বর্ণনা]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৩৯০
|-
|| ২৯ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/বহিরাঙ্গনে শব্দ সঞ্চালন]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২০৯১
|-
|| ৩০ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/রূপান্তর পরিশিষ্ট]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৭২৭
|-
|| ৩১ || [[কোয়ান্টাম জগৎ/ফেইনম্যান রুট/কোয়ান্টাম থেকে ধ্রুপদী]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২১৫৮
|-
|| ৩২ || [[কোয়ান্টাম জগৎ/আপেক্ষিকতা/লরেন্জ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৭৬৯
|-
|| ৩৩ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/জুরি পরীক্ষা]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৮১৬
|-
|| ৩৪ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/শব্দচালিত সিস্টেম]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৬৭৮
|-
|| ৩৫ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/নাইকুইস্ট স্থিতিশীলতা মানদণ্ড]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১১৬৫
|-
|| ৩৬ || [[কোয়ান্টাম জগৎ/প্রভাব ও প্রয়োগ/পর্যবেক্ষণযোগ্য ও অপারেটর]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৪৮৯
|-
|| ৩৭ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/গৃহযুদ্ধ]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৭৯৪৩
|-
|| ৩৮ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/আর্থ্রোপড/ম্যান্টিস চিংড়ি]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ৭৯৩
|-
|| ৩৯ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/পিজোইলেকট্রিক শব্দ সংবেদক]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১০১৩
|-
|| ৪০ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/সিলড বক্স সাবউফার ডিজাইন]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৮৪৯
|-
|| ৪১ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/শব্দকোষ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২২২৩
|-
|| ৪২ || [[কানাডায় শরনার্থী প্রক্রিয়া/এই লেখার সম্পর্কে]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১১৮৯
|-
|| ৪৩ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৮৬০
|-
|| ৪৪ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/পেশী]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৯৪৭
|-
|| ৪৫ || [[সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/সমাজবিজ্ঞানের ভিডিও]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ৬৪২
|-
|| ৪৬ || [[সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/কোর্স গ্রহণ]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২০
|-
|| ৪৭ || [[অতীন্দ্রিয়বাদ/আলোচনা]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৫৭১৯
|-
|| ৪৮ || [[সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/প্রযুক্তি, ইন্টারনেট ও ভার্চুয়াল জগৎ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৬৮৭
|-
|| ৪৯ || [[সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/বার্ধক্য]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২৬৫০
|-
|| ৫০ || [[রন্ধনপ্রণালী:বুটের ডাল]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২১৬
|-
|| ৫১ || [[রন্ধনপ্রণালী:মিষ্টি কুমড়ো ভাজি]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ২২৪
|-
|| ৫২ || [[রন্ধনপ্রণালী:শিমের দানা ভুনা]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ২৬০
|-
|| ৫৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:ঢেঁড়স ভাজি]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ২১৭
|-
|| ৫৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:পালং শাক ভাজি]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ২২৩
|-
|| ৫৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:সবজি কারি]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ২৯২
|-
|| ৫৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:মাছের বড়া]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ২৮৬
|-
|| ৫৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:টমেটো সালাদ]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২০৬
|-
|| ৫৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:শসার সালাদ]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২০৫
|-
|| ৫৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:টক দই]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ১৯৩
|-
|| ৬০ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিকেন কোপ্তা]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৯৪
|-
|| ৬১ || [[রন্ধনপ্রণালী:ডিম রোল]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৫৭
|-
|| ৬২ || [[রন্ধনপ্রণালী:গুড়ের পায়েস]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২২৭
|-
|| ৬৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:আনারসের চাটনি]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২২৭
|-
|| ৬৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:সেমাই পায়েস]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২০৮
|-
|| ৬৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:কুলের আচার]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৯৯
|-
|মোট পাতা:||৬৫||মোট শব্দ:||৭৬৩১৭
|}
== [[বাবহারকারী:Anik Kanti Dey|Anik Kanti Dey]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|| ১ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/মূল স্থান]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ৭৯৪
|-
|| ২ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/নিয়ন্ত্রক ও ক্ষতিপূরণকারী]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৭৬২
|-
|| ৩ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/কম্পিউটার মডেল/দৃষ্টিগত তথ্য প্রক্রিয়াজাতকরণের বর্ণনামূলক সিমুলেশন]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১২৪৪
|-
|| ৪ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/মানব কণ্ঠস্বর উৎপাদন]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ১০৫৫
|-
|| ৫ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/ভূমিকা]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ৯৫৯
|-
|| ৬ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/সাধারণ বৈশিষ্ট্য/অ্যাসোসিয়েশন কর্টেক্স]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৫০৪
|-
|| ৭ || [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/ভেক্টর ও স্কেলার]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৬৯৪
|-
|| ৮ || [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/তরঙ্গের অতিঅংশ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৫০৩
|-
|| ৯ || [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/ঘূর্ণন বল]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ৪৩৮
|-
|| ১০ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/নিয়ন্ত্রণযোগ্যতা ও পর্যবেক্ষণযোগ্যতা]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৭৩৮
|-
|| ১১ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/ডিজিটাল স্টেট স্পেস]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৭৩৮
|-
|| ১২ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/ডিজিটাল ও এনালগ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৭৮৭
|-
|মোট পাতা:||১২||মোট শব্দ:||৯২১৬
|}
== [[বাবহারকারী:Prerana Hatua|Prerana Hatua]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|| ১ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/সিস্টেম নির্দিষ্টকরণ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৩২
|-
|মোট পাতা:||১||মোট শব্দ:||১৩২
|}
== [[বাবহারকারী:Sagar Mahmud 1122|Sagar Mahmud 1122]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|| ১ || [[রাজনৈতিক যোগাযোগের উপাদান/প্রচলিত মিডিয়া নির্দেশিকা/সংবাদ বিজ্ঞপ্তি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৬২৮
|-
|| ২ || [[রাজনৈতিক যোগাযোগের উপাদান/প্রচলিত মিডিয়া নির্দেশিকা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৪
|-
|| ৩ || [[রাজনৈতিক যোগাযোগের উপাদান/মৌখিক বার্তার নির্দেশিকা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৪
|-
|| ৪ || [[রাজনৈতিক যোগাযোগের উপাদান/সাধারণ নির্দেশিকা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩২
|-
|| ৫ || [[উইকিশৈশব:কণা/প্রসারণ না সংকোচন?]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৯৫
|-
|মোট পাতা:||৫||মোট শব্দ:||১০৯৩
|}
== [[বাবহারকারী:রানা123|রানা123]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|| ১ || [[উইকিশৈশব:কণা/সারাংশ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৫৯৪
|-
|| ২ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/সমতলীয় তরঙ্গের প্রতিফলন, সঞ্চালন ও প্রতিসরণ]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৮৯
|-
|| ৩ || [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/ভরবেগ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৮২
|-
|| ৪ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/উপপ্রস্তাবনা]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৫৪
|-
|| ৫ || [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/অপটিক্স]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ৪৪৩
|-
|মোট পাতা:||৫||মোট শব্দ:||১৮৬২
|}
== [[বাবহারকারী:Thajib Hossain|Thajib Hossain]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|| ১ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/অনুশীলন: পয়েন্টার]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৪০২
|-
|| ২ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/প্রচলিত নিয়ন্ত্রণ]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৩১৭
|-
|মোট পাতা:||২||মোট শব্দ:||৭১৯
|}
== [[বাবহারকারী:Yasser Raihan|Yasser Raihan]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|| ১ || [[উইকিশৈশব:কণা/ব্রাউনীয় গতি]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩৫২
|-
|মোট পাতা:||১||মোট শব্দ:||৩৫২
|}
== [[বাবহারকারী:MD Sahib|MD Sahib]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|| ১ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/সরল দোলন]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৮৩
|-
|মোট পাতা:||১||মোট শব্দ:||৩৮৩
|}
== [[বাবহারকারী:Sa'Adat-E-Zubaire|Sa'Adat-E-Zubaire]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|| ১ || [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/ক্ষেত্র]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২৪৩
|-
|| ২ || [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/অরাজকতা তত্ত্ব]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২১৮
|-
|| ৩ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/একাডেমিক বা শিক্ষাগত অসততা]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১২৭৯
|-
|মোট পাতা:||৩||মোট শব্দ:||১৭৪০
|}
== [[বাবহারকারী:Md Rashidul Hasan Biplob|Md Rashidul Hasan Biplob]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|| ১ || [[সম্পর্ক/মানব মস্তিষ্কের বিকাশ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৯৩০
|-
|| ২ || [[সম্পর্ক/অ্যাগাপে]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৮৯
|-
|| ৩ || [[তড়িৎ ও চুম্বক/স্থির তড়িৎ/পটেনশিয়াল গ্রাডিয়েন্ট]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৪০৪
|-
|| ৪ || [[তড়িৎ ও চুম্বক/স্থির তড়িৎ/একাধিক আধানসৃষ্ট বিভব]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ১৪৮
|-
|| ৫ || [[তড়িৎ ও চুম্বক/স্থির তড়িৎ/একটি আধানের কুলম্ব বিভব]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ১৬১
|-
|| ৬ || [[তড়িৎ ও চুম্বক/স্থির তড়িৎ/ক্যাপাসিটর]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৭০
|-
|| ৭ || [[তড়িৎ ও চুম্বক/স্থির তড়িৎ/পরিবাহীতে স্থির তড়িৎ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩৫০
|-
|| ৮ || [[তড়িৎ ও চুম্বক/চল তড়িৎ/ব্যাটারি ও জেনারেটর]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৪৩
|-
|| ৯ || [[তড়িৎ ও চুম্বক/চুম্বকত্ব/চৌম্বকের তড়িচ্চালক শক্তি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৪৪১
|-
|| ১০ || [[তড়িৎ ও চুম্বক/চুম্বকত্ব/চুম্বক]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ২৪৯
|-
|| ১১ || [[রন্ধনপ্রণালী:মুড়িঘন্ট]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৯১
|-
|| ১২ || [[রন্ধনপ্রণালী:লালমোহন]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৫৬৪
|-
|| ১৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:নবরত্ন কোরমা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৪৮৭
|-
|| ১৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:দই চিংড়ি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৪৫৮
|-
|| ১৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:খাসির রেজালা]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৮১
|-
|| ১৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:কালোজাম]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ৮২৪
|-
|| ১৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:মুরগির রোস্ট]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৪০২
|-
|| ১৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:পান্তা ভাত]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৩২৭
|-
|| ১৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:দই চিঁড়া]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৩৮
|-
|| ২০ || [[রন্ধনপ্রণালী:শুঁটকি ভর্তা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১২২
|-
|মোট পাতা:||২০||মোট শব্দ:||৮৩৭৯
|}
== [[বাবহারকারী:T. Fhyym|T. Fhyym]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|| ১ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/শর্তাধীন অপারেটর]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ৭১০
|-
|মোট পাতা:||১||মোট শব্দ:||৭১০
|}
== [[বাবহারকারী:Najmol Hasan|Najmol Hasan]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|মোট পাতা:||০||মোট শব্দ:||০
|}
== [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|| ১ || [[উইকিশৈশব:গ্ৰাফিতিতে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান/আবু সাইদ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৪৭
|-
|| ২ || [[উইকিশৈশব:গ্ৰাফিতিতে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৫৮
|-
|মোট পাতা:||২||মোট শব্দ:||২০৫
|}
== [[বাবহারকারী:Ajmain Istheak|Ajmain Istheak]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|| ১ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/সিকোয়েন্স অপারেটর]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২৩৬
|-
|| ২ || [[কোয়ান্টাম জগৎ/আপেক্ষিকতা/লরেন্জ সংকোচন ও সময় সম্প্রসারণ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৫১
|-
|মোট পাতা:||২||মোট শব্দ:||৪৮৭
|}
== [[বাবহারকারী:Towfik Ahmed 07|Towfik Ahmed 07]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|| ১ || [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/তরঙ্গ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৫২৩
|-
|মোট পাতা:||১||মোট শব্দ:||৫২৩
|}
== [[বাবহারকারী:Md Nasir Uddin Biplob|Md Nasir Uddin Biplob]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|| ১ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/ঘ্রাণতন্ত্র/ভূমিকা]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ১৮৩
|-
|মোট পাতা:||১||মোট শব্দ:||১৮৩
|}
== [[বাবহারকারী:Azizul Islam Abir|Azizul Islam Abir]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|| ১ || [[ঢেঁড়স ভাজি]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ১৬৯
|-
|| ২ || [[খাসির কাচ্চি বিরিয়ানি]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২২০
|-
|মোট পাতা:||২||মোট শব্দ:||৩৮৯
|}
== [[বাবহারকারী:Dr. Mosaddek Khondoker|Dr. Mosaddek Khondoker]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|| ১ || [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/রৈখিক গতি]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৯৯৯
|-
|মোট পাতা:||১||মোট শব্দ:||১৯৯৯
|}
== [[বাবহারকারী:Sheikh MD. Obaidul Hossain|Sheikh MD. Obaidul Hossain]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|| ১ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/পতঙ্গ/দৃষ্টি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১০৮৬
|-
|| ২ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/জেলিফিশ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৪৬৮
|-
|| ৩ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/দৃষ্টিতন্ত্র/পুরাতন/সংকেত প্রক্রিয়াকরণ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৭৭৩
|-
|| ৪ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/অব্যবহারে সংবেদী প্রক্রিয়াকরণের পরিবর্তন]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩২০০
|-
|মোট পাতা:||৪||মোট শব্দ:||৭৫২৭
|}
== [[বাবহারকারী:যুবায়ের হোসাইন কায়েফ|যুবায়ের হোসাইন কায়েফ]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|| ১ || [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/গ্রীক বর্ণমালা]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ৪০৪
|-
|| ২ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/সমীকরণের তালিকা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২০৩
|-
|| ৩ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/উদাহরণ/দ্বিতীয় শ্রেণীর সিস্টেম]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৩৬৩
|-
|| ৪ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/আবরণ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩৪
|-
|| ৫ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/স্নায়ুতন্ত্র/নিজের জ্ঞান যাচাইয়ের উত্তরমালা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৮২
|-
|| ৬ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/কোষ/নিজের জ্ঞান যাচাইয়ের উত্তরমালা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৫১
|-
|| ৭ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/জ্ঞানেন্দ্রিয়সমূহ/নিজের জ্ঞান যাচাইয়ের উত্তরমালা]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২৪২
|-
|| ৮ || [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/আবৃত্ত গতি]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ৬২
|-
|| ৯ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/শব্দকোষ/ড-ঢ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৭৬
|-
|| ১০ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/শ্বসনতন্ত্র/নিজের জ্ঞান যাচাইয়ের উত্তরমালা]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২৪৮
|-
|| ১১ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/পৌষ্টিকনালী ও পরিপাক/নিজের জ্ঞান যাচাইয়ের উত্তরমালা]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৩৬৮
|-
|| ১২ || [[তড়িৎচৌম্বকীয় বিকিরণ/গামা রশ্মি]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১২৪
|-
|| ১৩ || [[তড়িৎচৌম্বকীয় বিকিরণ/মাইক্রোতরঙ্গ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৯৯
|-
|| ১৪ || [[তড়িৎচৌম্বকীয় বিকিরণ/সম্পর্কসমূহ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১১৩
|-
|| ১৫ || [[তড়িৎচৌম্বকীয় বিকিরণ/দৃশ্যমান আলো]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৬৩
|-
|| ১৬ || [[তড়িৎচৌম্বকীয় বিকিরণ/রঞ্জন রশ্মি]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৩১
|-
|| ১৭ || [[মানব শারীরতত্ত্ব/অ্যাসাইনমেন্টসমূহ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৪২৫
|-
|| ১৮ || [[সাধারণ বলবিজ্ঞান/বেগ নির্ভর বল]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৫০৭
|-
|| ১৯ || [[সাধারণ বলবিজ্ঞান]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৭৬
|-
|| ২০ || [[সাধারণ বলবিজ্ঞান/কাজ ও ক্ষমতা]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৬৬৫
|-
|মোট পাতা:||২০||মোট শব্দ:||৪৬৩৬
|}
== [[বাবহারকারী:Somajyoti|Somajyoti]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|| ১ || [[তড়িতচুম্বকীয় বিকিরণ/গামা রশ্মি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১২০
|-
|| ২ || [[তড়িতচুম্বকীয় বিকিরণ/এক্স-রে]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৩৩
|-
|| ৩ || [[তড়িতচুম্বকীয় বিকিরণ/অতিবেগুনি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২২৬
|-
|| ৪ || [[তড়িতচুম্বকীয় বিকিরণ/দৃশ্যমান আলো]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৫৮
|-
|| ৫ || [[তড়িতচুম্বকীয় বিকিরণ/ইনফ্রারেড]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১২২
|-
|| ৬ || [[তড়িতচুম্বকীয় বিকিরণ/মাইক্রোওয়েভ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১১৯
|-
|| ৭ || [[তড়িতচুম্বকীয় বিকিরণ/রেডিও]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৪০১
|-
|| ৮ || [[তড়িতচুম্বকীয় বিকিরণ/বর্ণালীর ব্যান্ডসমূহ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৯১
|-
|| ৯ || [[তড়িতচুম্বকীয় বিকিরণ/সম্পর্কসমূহ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১২২
|-
|| ১০ || [[তড়িতচুম্বকীয় বিকিরণ/পরিমাপের এককসমূহ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩২০
|-
|| ১১ || [[তড়িতচুম্বকীয় বিকিরণ/ভূমিকা]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১২৪
|-
|| ১২ || [[তড়িতচুম্বকীয় বিকিরণ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩৫
|-
|মোট পাতা:||১২||মোট শব্দ:||২০৭১
|}
== [[বাবহারকারী:Hi.junaidofficial|Hi.junaidofficial]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|| ১ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/ইনডিরেকশন অপারেটর]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৮২৫
|-
|মোট পাতা:||১||মোট শব্দ:||৮২৫
|}
== [[বাবহারকারী:Md Nayed Ahmed Riaj|Md Nayed Ahmed Riaj]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|| ১ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিকেন ফিঙ্গার]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৮৫
|-
|| ২ || [[রন্ধনপ্রণালী:কই মাছের ঝোল]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২১১
|-
|| ৩ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/ভূমিকা]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৩৩
|-
|| ৪ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/শব্দকোষ/ক-ল]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৭৩
|-
|| ৫ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/ভয়েড ডেটা টাইপ]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২০৭
|-
|মোট পাতা:||৫||মোট শব্দ:||৭০৯
|}
== [[বাবহারকারী:Bosesukla|Bosesukla]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|| ১ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/হৃদযন্ত্র/হৃৎপিণ্ড]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৬২১
|-
|মোট পাতা:||১||মোট শব্দ:||১৬২১
|}
== [[বাবহারকারী:Narrative warrior|Narrative warrior]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|| ১ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/টেক্সট ফাইল থেকে অ্যারে লোড করা]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৪৬৯
|-
|মোট পাতা:||১||মোট শব্দ:||৪৬৯
|}
== [[বাবহারকারী:Abdur Rakib|Abdur Rakib]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|| ১ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/হৃদযন্ত্র/রক্ত সংবহন]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৮৫১
|-
|মোট পাতা:||১||মোট শব্দ:||১৮৫১
|}
== [[বাবহারকারী:Malihamoni|Malihamoni]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|| ১ || [[রন্ধনপ্রণালী:গরুর কাচ্চি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২০৯
|-
|| ২ || [[রন্ধনপ্রণালী:ফিশ কারি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৬৩
|-
|| ৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:ফিশ ফ্রাই]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৪৭
|-
|| ৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:ভেজ নুডলস]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৫৯
|-
|| ৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:বন রুটি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২১১
|-
|| ৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:গরুর মাংস ভুনা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২১০
|-
|| ৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:মালাই চপ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৬০
|-
|| ৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:মশুর ডাল]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৪৮
|-
|মোট পাতা:||৮||মোট শব্দ:||১৪০৭
|}
== [[বাবহারকারী:Akhlakur Rahman Adil|Akhlakur Rahman Adil]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|| ১ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/দৃষ্টিতন্ত্র/পুরাতন/সংবেদী অঙ্গ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৭৯৭
|-
|| ২ || [[রন্ধনপ্রণালী:পনির কারি]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৩১৮
|-
|| ৩ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/সাধারণ অরৈখিকতা]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ৩৬৩
|-
|| ৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিকেন বার্গার]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৭৫
|-
|মোট পাতা:||৪||মোট শব্দ:||১৭৫৩
|}
== [[বাবহারকারী:BNBOY|BNBOY]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|| ১ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/ডিজিটাল নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৭৫৪
|-
|মোট পাতা:||১||মোট শব্দ:||৭৫৪
|}
== [[বাবহারকারী:NeoNoman|NeoNoman]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|| ১ || [[তড়িৎ ও চুম্বক/চুম্বকত্ব/তড়িৎ প্রবাহে কুলম্বের সূত্র]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২২৪
|-
|| ২ || [[তড়িৎ ও চুম্বক/স্থির তড়িৎ/তড়িৎ বিভব]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৮৫৯
|-
|মোট পাতা:||২||মোট শব্দ:||১০৮৩
|}
== [[বাবহারকারী:Hosen MD Obayedullah|Hosen MD Obayedullah]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|মোট পাতা:||০||মোট শব্দ:||০
|}
== [[বাবহারকারী:Daiyan-2004|Daiyan-2004]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|| ১ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/ফর লুপ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৩২৬
|-
|মোট পাতা:||১||মোট শব্দ:||৩২৬
|}
== [[বাবহারকারী:Ishrat Jahan Tahmid|Ishrat Jahan Tahmid]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|| ১ || [[সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/সামাজিক আন্দোলন]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৮৭৫
|-
|| ২ || [[সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/সমষ্টিগত আচরণ]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৩৭৫৩
|-
|মোট পাতা:||২||মোট শব্দ:||৬৬২৮
|}
== [[বাবহারকারী:Obangmoy|Obangmoy]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|| ১ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/লেখক]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১২২
|-
|| ২ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/ভূমিকা]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৫৫৮
|-
|| ৩ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/সুইফট লুপ উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ২৬১
|-
|| ৪ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/লুপের উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ১৯
|-
|| ৫ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/সুইফট অ্যারে উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ২৩১
|-
|| ৬ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/শর্তের উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২৮৮
|-
|মোট পাতা:||৬||মোট শব্দ:||১৪৭৯
|}
== [[বাবহারকারী:MD Ashradul Islam Tasin|MD Ashradul Islam Tasin]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|| ১ || [[তত্ত্ব শিখন/প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষণ: প্রভাবক উপাদান]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৩৯৮
|-
|| ২ || [[তত্ত্ব শিখন/প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষণ: শাখাভিত্তিক অবদান]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৬৭১
|-
|| ৩ || [[তত্ত্ব শিখন/নির্মাণবাদী তত্ত্ব]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১১৪৬
|-
|| ৪ || [[তত্ত্ব শিখন/আচরণবাদী তত্ত্ব]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৪২১
|-
|| ৫ || [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/লগারিদম]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২৪০
|-
|| ৬ || [[অতীন্দ্রিয়বাদ/অতীন্দ্রিয়বাদ কি?]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৮২৮
|-
|মোট পাতা:||৬||মোট শব্দ:||৯৭০৪
|}
== [[বাবহারকারী:Sifat Hasan Adil|Sifat Hasan Adil]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|মোট পাতা:||০||মোট শব্দ:||০
|}
== [[বাবহারকারী:Waliurrahmanlimon|Waliurrahmanlimon]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|| ১ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/সি-শার্প পরিচিতি উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ২১১
|-
|মোট পাতা:||১||মোট শব্দ:||২১১
|}
== [[বাবহারকারী:Editobd|Editobd]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|| ১ || [[রন্ধনপ্রণালী:বেসনের পকোড়া]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩৮৬
|-
|| ২ || [[রন্ধনপ্রণালী:বেসনের চপ]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৫৮১
|-
|| ৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিকেন চিলি]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৪০৬
|-
|| ৪ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/অভিযোজিত নিয়ন্ত্রণ]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ১০৮
|-
|| ৫ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/আর্থ্রোপড]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ৮৯৬
|-
|| ৬ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ০
|-
|মোট পাতা:||৬||মোট শব্দ:||২৩৭৭
|}
== [[বাবহারকারী:Dolon Prova|Dolon Prova]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|| ১ || [[রন্ধনপ্রণালী:শসার রায়তা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৫০
|-
|| ২ || [[রন্ধনপ্রণালী:আলু বেগুনের ঝোল]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৯৭
|-
|| ৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:ভাপা পিঠা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৫৯
|-
|| ৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:বাঁধাকপি ভাজি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২০৬
|-
|| ৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিংড়ি ভুনা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৯৩
|-
|| ৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:শুঁটকি ভুনা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৫৯
|-
|মোট পাতা:||৬||মোট শব্দ:||১১৬৪
|}
== [[বাবহারকারী:Saadi095|Saadi095]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|| ১ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিকেন নুডলস]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৫৮
|-
|মোট পাতা:||১||মোট শব্দ:||২৫৮
|}
gpzrlufm8wjfjn2wqsi9dwgco84qnid
85841
85840
2025-07-08T10:16:19Z
Maruf
8010
সংশোধন
85841
wikitext
text/x-wiki
{| class="wikitable sortable"
|+ এক নজরে পরিসংখ্যান (শব্দ সংখ্যার ভিত্তিতে হালনাগাদ ও সঠিকভাবে সাজানো)
|-
! সি. !! ব্যবহারকারী !! গৃহীত নিবন্ধ সংখ্যা !! শব্দ সংখ্যা
|-
| ১ || SMontaha32 || ১০৯ || ১,৭৯,৫৭১
|-
| ২ || MS Sakib || ১৩ || ১,৭১,৫৬৮
|-
| ৩ || Asikur.rahman25 || ৫২ || ১,২২,২৬৩
|-
| ৪ || NusJaS || ১৫ || ১,১২,১৮৪
|-
| ৫ || M.Asaduzzaman sahed || ৩১ || ১,০৮,৫১৬
|-
| ৬ || RDasgupta2020 || ২০২ || ৮১,৩৮৫
|-
| ৭ || Sheikh Mehedi Hassan || ৬৫ || ৭৬,৩১৭
|-
| ৮ || Firuz Ahmmed || ১৭২ || ৭২,১৩৩
|-
| ৯ || MD Abu Siyam || ১৭৭ || ৪৯,৩৭৮
|-
| ১০ || Md Mobashir Hossain || ৮০ || ২৮,১৮৮
|-
| ১১ || Ei to ami akash || ২৪ || ২২,২০১
|-
| ১২ || MD Ashradul Islam Tasin || ৬ || ৯,৭০৪
|-
| ১৩ || Anik Kanti Dey || ১২ || ৯,২১৬
|-
| ১৪ || Md Rashidul Hasan Biplob || ২০ || ৮,৩৭৯
|-
| ১৫ || Sheikh MD. Obaidul Hossain || ৪ || ৭,৫২৭
|-
| ১৬ || Ishrat Jahan Tahmid || ২ || ৬,৬২৮
|-
| ১৭ || নিয়াজ ইসলাম || ৩৫ || ৫,৬৪৬
|-
| ১৮ || Salil Kumar Mukherjee || ১৫ || ৫,২৭৮
|-
| ১৯ || যুবায়ের হোসাইন কায়েফ || ২০ || ৪,৬৩৬
|-
| ২০ || Editobd || ৬ || ২,৩৭৭
|-
| ২১ || Somajyoti || ১২ || ২,০৭১
|-
| ২২ || Anisvai || ১০ || ২,০৬১
|-
| ২৩ || Dr. Mosaddek Khondoker || ১ || ১,৯৯৯
|-
| ২৪ || রানা১২৩ || ৫ || ১,৮৬২
|-
| ২৫ || Abdur Rakib || ১ || ১,৮৫১
|-
| ২৬ || Akhlakur Rahman Adil || ৪ || ১,৭৫৩
|-
| ২৭ || Sa'Adat-E-Zubaire || ৩ || ১,৭৪০
|-
| ২৮ || Bosesukla || ১ || ১,৬২১
|-
| ২৯ || Obangmoy || ৬ || ১,৪৭৯
|-
| ৩০ || Malihamoni || ৮ || ১,৪০৭
|-
| ৩১ || Dolon Prova || ৬ || ১,১৬৪
|-
| ৩২ || NeoNoman || ২ || ১,০৮৩
|-
| ৩৩ || Sagar Mahmud 1122 || ৫ || ১,০৯৩
|-
| ৩৪ || Hi.junaidofficial || ১ || ৮২৫
|-
| ৩৫ || BNBOY || ১ || ৭৫৪
|-
| ৩৬ || Thajib Hossain || ২ || ৭১৯
|-
| ৩৭ || T. Fhyym || ১ || ৭১০
|-
| ৩৮ || Md Nayed Ahmed Riaj || ৫ || ৭০৯
|-
| ৩৯ || Towfik Ahmed 07 || ১ || ৫২৩
|-
| ৪০ || Ajmain Istheak || ২ || ৪৮৭
|-
| ৪১ || Narrative warrior || ১ || ৪৬৯
|-
| ৪২ || Ridnin Riz || ১ || ৪১৮
|-
| ৪৩ || MD Sahib || ১ || ৩৮৩
|-
| ৪৪ || Azizul Islam Abir || ২ || ৩৮৯
|-
| ৪৫ || Yasser Raihan || ১ || ৩৫২
|-
| ৪৬ || Daiyan-২০০৪ || ১ || ৩২৬
|-
| ৪৭ || Saadi০৯৫ || ১ || ২৫৮
|-
| ৪৮ || Md.Farhan Mahmud || ১ || ২১৫
|-
| ৪৯ || Waliurrahmanlimon || ১ || ২১১
|-
| ৫০ || MdsShakil || ২ || ২০৫
|-
| ৫১ || Md Nasir Uddin Biplob || ১ || ১৮৩
|-
| ৫২ || Prerana Hatua || ১ || ১৩২
|-
| ৫৩ || Parishexplorer || ০ || ০
|-
| ৫৪ || Najmol Hasan || ০ || ০
|-
| ৫৫ || Hosen MD Obayedullah || ০ || ০
|-
| ৫৬ || Sifat Hasan Adil || ০ || ০
|}
== [[বাবহারকারী:Ei to ami akash|Ei to ami akash]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|| ১ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/যুক্তিবিদ্যা/প্রকরণ যুক্তি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩৪৩
|-
|| ২ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/নকশা/প্রারম্ভিক অংশ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৬৮১
|-
|| ৩ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/নকশা/নথির বিন্যাস/সংগঠনের ধরন]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৪৬০
|-
|| ৪ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/নকশা/চিত্র]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৭৯৮
|-
|| ৫ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/নকশা/চিত্রপট]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৮৭১
|-
|| ৬ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/দর্শনের উদ্ভব]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৪৭৬
|-
|| ৭ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/যুক্তিবিদ্যা/যুক্তি ও কারণ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১০৭৮
|-
|| ৮ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/বৌদ্ধ দর্শন কী?]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৯৮০
|-
|| ৯ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/নৈতিকতা কী?]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৪৩৫
|-
|| ১০ || [[কোয়ান্টাম জগৎ/প্রভাব ও প্রয়োগ/শক্তি কোয়ান্টাইজড কেন]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ৩৯৩
|-
|| ১১ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/MIMO সিস্টেমের জন্য স্বত্বমান নির্ধারণ]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৭৭৮
|-
|| ১২ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/তারের অনুপ্রস্থ কম্পন]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৩৯০
|-
|| ১৩ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/কার্টেসীয় স্থানাঙ্কে শব্দতরঙ্গ সমাধান]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২৪৩
|-
|| ১৪ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/শব্দতরঙ্গ সমীকরণ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৪৩০
|-
|| ১৫ || [[অধ্যয়ন দক্ষতা/বিকল্প কৌশল]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৬৪১
|-
|| ১৬ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/সময়-ডোমেইন সমাধান]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ১৩৮
|-
|| ১৭ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/স্থিতিস্থাপক কঠিন পদার্থে তরঙ্গগতি]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩৪৮
|-
|| ১৮ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/শব্দকোষ/বই সংস্করণ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১২৮
|-
|| ১৯ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/শ্রেণীবিন্যাস]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৫৮৪
|-
|| ২০ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/রসায়নিক পদার্থ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৬১৮
|-
|| ২১ || [[তড়িৎ ও চুম্বক/স্থির তড়িৎ/কুলম্বের সূত্র]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৩৩৮
|-
|| ২২ || [[সাধারণ বলবিজ্ঞান/টর্ক ও কৌণিক ভরবেগ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৫৩৯
|-
|| ২৩ || [[তড়িৎ ও চুম্বক/চুম্বকত্ব/ভেক্টর গুণফল]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ১৩২
|-
|| ২৪ || [[সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/সংস্কৃতি]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৩৩৭৯
|-
|মোট পাতা:||২৪||মোট শব্দ:||২২২০১
|}
== [[বাবহারকারী:MD Abu Siyam|MD Abu Siyam]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|| ১ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/স্ট্রিং ডেটা টাইপ]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ৫১৭
|-
|| ২ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/শ্রবণের পরিবাহী প্রক্রিয়া]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৮০
|-
|| ৩ || [[ত্রিমাত্রিক মুদ্রণ/মুদ্রণ পরবর্তী প্রক্রিয়াকরণ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১০৭
|-
|| ৪ || [[ত্রিমাত্রিক মুদ্রণ/স্লাইসিং সফটওয়্যার]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২০৫
|-
|| ৫ || [[ত্রিমাত্রিক মুদ্রণ/মডেলসমূহ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২০০
|-
|| ৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:বড়া খিচুড়ি]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩৩৭
|-
|| ৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:পানতোয়া]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৮৪
|-
|| ৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:শাহী দাল মাখনি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩০৭
|-
|| ৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিকেন ড্রামস্টিক]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩০২
|-
|| ১০ || [[রন্ধনপ্রণালী:জিরা পানি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৬৭
|-
|| ১১ || [[রন্ধনপ্রণালী:বাদাম ভর্তা]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩০০
|-
|| ১২ || [[রন্ধনপ্রণালী:পনির পাকোড়া]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৭৭
|-
|| ১৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:পাঁপড়]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৬৬
|-
|| ১৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:ছিটা রুটি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩৫৬
|-
|| ১৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিকেন দম বিরিয়ানি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩৭৪
|-
|| ১৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:কর্নডগ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৭৩
|-
|| ১৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:আচারি চিকেন]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৪৩৬
|-
|| ১৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:পেস্তা হালুয়া]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২২৩
|-
|| ১৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:হান্ডি বিফ]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৭৬
|-
|| ২০ || [[রন্ধনপ্রণালী:মাঠা]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৭২
|-
|| ২১ || [[রন্ধনপ্রণালী:ব্রাউনি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৩৬
|-
|| ২২ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিকেন শাসলিক]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২২৮
|-
|| ২৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিকেন জালি কাবাব]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৩৫
|-
|| ২৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:জাফরানি শরবত]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৯৭
|-
|| ২৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:বাদাম শরবত]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২০২
|-
|| ২৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:হুমুস]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৮২
|-
|| ২৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিকেন নাচোস]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২১৯
|-
|| ২৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:পটেটো ওয়েজেস]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৪৩
|-
|| ২৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিকেন টিক্কা কাবাব]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৪০
|-
|| ৩০ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিকেন বটি কাবাব]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৫০
|-
|| ৩১ || [[রন্ধনপ্রণালী:অনিয়ন রিংস]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২২৪
|-
|| ৩২ || [[রন্ধনপ্রণালী:কুনাফা চকলেট]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৭৯
|-
|| ৩৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:টাকো]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৬৮
|-
|| ৩৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:কচুপাতা ভর্তা]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৭৩
|-
|| ৩৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:চাল কুমড়ার মোরব্বা]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৮৮
|-
|| ৩৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:আমের মোরব্বা]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৯৯
|-
|| ৩৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:পেলকা]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৬৭
|-
|| ৩৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:চ্যাপা শুটকি ভর্তা]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৩৮৮
|-
|| ৩৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:ডোনাট]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৫৩২
|-
|| ৪০ || [[কানাডায় শরনার্থী প্রক্রিয়া/ শব্দকোষ]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৩০৩
|-
|| ৪১ || [[উইকিশৈশব:চলো নাইকার গুহাতে স্ফটিকীকরণ নিয়ে কথা বলি]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৩৮৯
|-
|| ৪২ || [[উইকিশৈশব:চলো নাইকার গুহাতে স্ফটিকীকরণ নিয়ে কথা বলি/১২ - তরবারির গুহায় স্ফটিক গঠন]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৬১
|-
|| ৪৩ || [[উইকিশৈশব:চলো নাইকার গুহাতে স্ফটিকীকরণ নিয়ে কথা বলি/১ - নাইকা মেক্সিকোতে অবস্থিত]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৪৬
|-
|| ৪৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:ধোকলা]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৭০
|-
|| ৪৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:তেলি হাঁস ভুনা]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২২৮
|-
|| ৪৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:মুড়ি সন্দেশ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৫৮
|-
|| ৪৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:খেজুরের ক্ষীর]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২২৭
|-
|| ৪৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:গরুর মাংসের ঝুরি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩২০
|-
|| ৪৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:মাছের দো পোয়া]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৬৫
|-
|| ৫০ || [[রন্ধনপ্রণালী:ফাফড়া]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৬৮
|-
|| ৫১ || [[রন্ধনপ্রণালী:মোচার ঘন্ট]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৬০
|-
|| ৫২ || [[রন্ধনপ্রণালী:ঘিয়ের মোয়া]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৫৪
|-
|| ৫৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:কাঁঠালের বিচির ঘন্ট]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২১২
|-
|| ৫৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:ক্ষীরশাপটা]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৩৬
|-
|| ৫৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিংড়ি নারকেল ঝোল]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৪৭
|-
|| ৫৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:ধনেপাতার মুরগী]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৫৪
|-
|| ৫৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:মেওয়া লাড্ডু]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২০৭
|-
|| ৫৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:আলুর বড়া]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৭৬
|-
|| ৫৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:ইলিশের খোসার ঝোল]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩০৬
|-
|| ৬০ || [[রন্ধনপ্রণালী:লাউ ভাজা]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২১১
|-
|| ৬১ || [[রন্ধনপ্রণালী:ডিমের টমেটো কারি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৫৫
|-
|| ৬২ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিড়ার কাবাব]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২২৪
|-
|| ৬৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:চালতার আচার]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২২৪
|-
|| ৬৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:বুটের শিরনী]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৭৩
|-
|| ৬৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:লাউ খোয়া]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৬৩
|-
|| ৬৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:পুঁটিমাছ ভুনা]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৫৮
|-
|| ৬৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:মেজবানি মাংস]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৯১
|-
|| ৬৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:তান্দুরি রুটি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৭১
|-
|| ৬৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:বিফ চাপ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩১০
|-
|| ৭০ || [[রন্ধনপ্রণালী:ছানার দম পনির]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৯৭
|-
|| ৭১ || [[রন্ধনপ্রণালী:নবাবি কচুরি]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৩৫৫
|-
|| ৭২ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিকেন দোপেয়াজা]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৩৬৩
|-
|| ৭৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:মালাই কোফতা]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৩৭৩
|-
|| ৭৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:পনির বাটার মসলা]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৩৬৩
|-
|| ৭৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:চুইঝাল চিংড়ি]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৩৩০
|-
|| ৭৬ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/অ্যাপ্লিকেশন ওয়েবসাইটসমূহ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৫২
|-
|| ৭৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:পটলের চপ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৯৬
|-
|| ৭৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:চালকুমড়ার বড়া]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৬৮
|-
|| ৭৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:চকলেট মিল্কশেক]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২২০
|-
|| ৮০ || [[রন্ধনপ্রণালী:শুটকি চচ্চড়ি]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৮৮
|-
|| ৮১ || [[রন্ধনপ্রণালী:সবজি পাকোড়া]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৭৯
|-
|| ৮২ || [[রন্ধনপ্রণালী:মুগডালের হালুয়া]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৯৪
|-
|| ৮৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:বাঁধাকপির ঘন্ট]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৬৯
|-
|| ৮৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:পোড়া বেগুন ভর্তা]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৬৬
|-
|| ৮৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিকেন নাগা কারি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩০০
|-
|| ৮৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:স্ট্রবেরি মিল্কশেক]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৭৯
|-
|| ৮৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:স্ট্রবেরি লাচ্ছি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৯৬
|-
|| ৮৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:ম্যাংগো মিল্কশেক]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৮৬
|-
|| ৮৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:তেঁতুলের চাটনি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২১০
|-
|| ৯০ || [[রন্ধনপ্রণালী:পুদিনা চাটনি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২২৪
|-
|| ৯১ || [[রন্ধনপ্রণালী:বাদাম পুলি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৭২
|-
|| ৯২ || [[রন্ধনপ্রণালী:সরষে পাবদা]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩১৯
|-
|| ৯৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:রসকদম্ব]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩২১
|-
|| ৯৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:কাঁচকলার কোপ্তা]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩১০
|-
|| ৯৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:সজনে ডাল]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২১৩
|-
|| ৯৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:ম্যাংগো লাচ্ছি]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২৪৯
|-
|| ৯৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিংড়ি ভর্তা]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২৪০
|-
|| ৯৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:সাগুর পায়েস]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২৬৩
|-
|| ৯৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:মুরগির পাকোড়া]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২৭৯
|-
|| ১০০ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিকেন পপকর্ন]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৩০০
|-
|| ১০১ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/লজিক্যাল অপারেটর]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৪৩৫
|-
|| ১০২ || [[রন্ধনপ্রণালী:মাংসের আচার]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৩৩৬
|-
|| ১০৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:রামেন]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২৭০
|-
|| ১০৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিঁড়ের পায়েস]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৫২
|-
|| ১০৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:শিমের ডালনা]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২৭১
|-
|| ১০৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিকেন স্যুপ]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২৯০
|-
|| ১০৭ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/সাইজঅফ অপারেটর]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৩১১
|-
|| ১০৮ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/সফটওয়্যার টেস্টিং]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৫৭৯
|-
|| ১০৯ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/রিলেশনাল অপারেটর]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৯৭
|-
|| ১১০ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/প্রোগ্রাম ডিজাইন]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৫৯৯
|-
|| ১১১ || [[রন্ধনপ্রণালী:বালাচাও]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ৩৩৫
|-
|| ১১২ || [[রন্ধনপ্রণালী:টমেটো খাট্টা]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২৮১
|-
|| ১১৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:মধুভাত]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২৮৯
|-
|| ১১৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:ফুলকপির ধোকা]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৩৩৬
|-
|| ১১৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:ছানার ডালনা]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২৯৬
|-
|| ১১৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:রেজালা]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ৩০৩
|-
|| ১১৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:মোঘলাই কোরমা]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৮৭
|-
|| ১১৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:পটলের কোপ্তা]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৪৪১
|-
|| ১১৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:কাঁচামিষ্টি আমদই]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২২০
|-
|| ১২০ || [[রন্ধনপ্রণালী:সাতকরা গরুর মাংস]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২২৯
|-
|| ১২১ || [[রন্ধনপ্রণালী:শাহী টুকরা]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ৩৪৫
|-
|| ১২২ || [[রন্ধনপ্রণালী:শাহী দুধ সেমাই]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ৩১৫
|-
|| ১২৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:চীজকেক]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৬০
|-
|| ১২৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:আলু পনির]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৩৮
|-
|| ১২৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:রাবড়ি]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৮৫
|-
|| ১২৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:ছানার বরফি]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৭২
|-
|| ১২৭ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/সুইফট অবজেক্ট উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ২৯৮
|-
|| ১২৮ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/সুইফট পরিচিতি উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ২০২
|-
|| ১২৯ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/জাভাস্ক্রিপ্ট পরিচিতি উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ৩৫২
|-
|| ১৩০ || [[রন্ধনপ্রণালী:ছোলে ভাটুরে]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৯৯
|-
|| ১৩১ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/লেখকবৃন্দ]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ৩৬
|-
|| ১৩২ || [[রন্ধনপ্রণালী:খাসির চাপ]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৬৭
|-
|| ১৩৩ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/প্রোগ্রামিং পরিচিতি]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ১৯২
|-
|| ১৩৪ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/পাইথন পরিচিতি উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ২১৩
|-
|| ১৩৫ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/ডেটা ম্যানিপুলেশন]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ৫৭৭
|-
|| ১৩৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:প্যানকেক]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৪৫
|-
|| ১৩৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:সুজির টোস্ট]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৬৪
|-
|| ১৩৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:দই চাট]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২১৪
|-
|| ১৩৯ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/সূচীপত্র]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১০৩৫
|-
|| ১৪০ || [[রন্ধনপ্রণালী:আচারি বিফ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩৫১
|-
|| ১৪১ || [[রন্ধনপ্রণালী:দই কাতলা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩৫২
|-
|| ১৪২ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিড়ার সরবত]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩৩১
|-
|| ১৪৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:ঘুগনি]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩৭৪
|-
|| ১৪৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:ঘোল]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩০৯
|-
|| ১৪৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিকেন শর্মা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৯২
|-
|| ১৪৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:ফিশ কাটলেট]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৬৪
|-
|| ১৪৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:জর্দা সেমাই]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৭৩
|-
|| ১৪৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:গরুর পায়া]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৩৬৮
|-
|| ১৪৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:তিলের নাড়ু]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২৫৪
|-
|| ১৫০ || [[রন্ধনপ্রণালী:নারকেলের নাড়ু]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৪৬
|-
|| ১৫১ || [[রন্ধনপ্রণালী:মুরগির কোরমা]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২৯৩
|-
|| ১৫২ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিকেন ললিপপ]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২৪১
|-
|| ১৫৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:কলিজা ভুনা]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২৬১
|-
|| ১৫৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:কলিজা সিঙ্গারা]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৩৩৮
|-
|| ১৫৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:মলিদা]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২১৮
|-
|| ১৫৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:আলু পরোটা]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২৫৭
|-
|| ১৫৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:ডিম পরোটা]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২৬৮
|-
|| ১৫৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:বাটার নান]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৩৩০
|-
|| ১৫৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:দুধ চিতই]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৩২১
|-
|| ১৬০ || [[রন্ধনপ্রণালী:দুধ পুলি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৩৫
|-
|| ১৬১ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিংড়ির ভর্তা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৬৫
|-
|| ১৬২ || [[রন্ধনপ্রণালী:মশলা চা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২১৬
|-
|| ১৬৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:আদা চা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৩৮
|-
|| ১৬৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:লেবু চা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৪৫
|-
|| ১৬৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:বেলপুরি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৪২২
|-
|| ১৬৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:ছানার পায়েস]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৪৫৫
|-
|| ১৬৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:ফ্রায়েড রাইস]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২১৬
|-
|| ১৬৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:বিফ স্টেক]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৯৫
|-
|| ১৬৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:ডিম টোস্ট]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১০৯
|-
|| ১৭০ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/অ্যাসাইনমেন্ট বনাম সমতা]] || [[বাবহারকারী:Maruf|Maruf]] || ৩৮৮
|-
|| ১৭১ || [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/বিষয়সমূহ]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ১৪৯
|-
|| ১৭২ || [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/লেখক]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৮
|-
|| ১৭৩ || [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৯২
|-
|| ১৭৪ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/ডেটা এবং অপারেটর]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৫২
|-
|| ১৭৫ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/সি++ সংরক্ষিত কীওয়ার্ড]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২৪৪
|-
|| ১৭৬ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/বুলিয়ান ডেটা টাইপ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৩৩০
|-
|| ১৭৭ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/অ্যাসাইনমেন্ট]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২৬২
|-
|মোট পাতা:||১৭৭||মোট শব্দ:||৪৯৩৭৮
|}
== [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|| ১ || [[জাপানের ইতিহাস: পুরাণ থেকে জাতিসত্ত্বা]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৪৯২
|-
|| ২ || [[জাপানের ইতিহাস: পুরাণ থেকে জাতিসত্ত্বা/আসুকা যুগ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৮৩৮৩
|-
|| ৩ || [[সবকিছুর জন্যেই ইন্টারনেট?/নজরদারি ও প্রতিনজরদারি]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২০৫৬৫
|-
|| ৪ || [[সবকিছুর জন্যেই ইন্টারনেট?/ডিজিটাল যুগে ব্যক্তিগত ও জনপরিসর]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৮৯৫৫
|-
|| ৫ || [[সবকিছুর জন্যেই ইন্টারনেট?]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৪৬১
|-
|| ৬ || [[সবকিছুর জন্যেই ইন্টারনেট?/প্রযুক্তিগত ও সাংস্কৃতিক নির্ধারণবাদ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৩৭০৩
|-
|| ৭ || [[কানাডায় শরনার্থী প্রক্রিয়া/স্বাধীন সিদ্ধান্তগ্রহণকারীর অধিকার]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ৫২৫১
|-
|| ৮ || [[কানাডায় শরনার্থী প্রক্রিয়া/শরণার্থী প্রক্রিয়া ব্যাখ্যার নীতিমালা]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ১৭৩৪৩
|-
|| ৯ || [[কানাডায় শরনার্থী প্রক্রিয়া/বোর্ডের অনুসন্ধানমূলক দায়িত্ব]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ৬৮৮৬
|-
|| ১০ || [[কানাডায় শরনার্থী প্রক্রিয়া/পক্ষপাতহীন সিদ্ধান্তগ্রহণকারীর অধিকার]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ৫২৬৯
|-
|| ১১ || [[কানাডায় শরনার্থী প্রক্রিয়া/ন্যায্য শুনানির অধিকার]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২১৪৮৪
|-
|| ১২ || [[কানাডায় শরনার্থী প্রক্রিয়া/কানাডায় শরণার্থী প্রক্রিয়ার ইতিহাস]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২০৮৮৪
|-
|| ১৩ || [[কানাডায় শরনার্থী প্রক্রিয়া]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৮৯২
|-
|মোট পাতা:||১৩||মোট শব্দ:||১৭১৫৬৮
|}
== [[বাবহারকারী:Asikur.rahman25|Asikur.rahman25]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|| ১ || [[রাজনৈতিক যোগাযোগের উপাদান/প্রচলিত মিডিয়া নির্দেশিকা/মতামত কলাম ও সম্পাদককে চিঠি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৮১৩
|-
|| ২ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/কক্ষে তড়িৎ-শব্দীয় স্থাপনাসমূহ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৯০২
|-
|| ৩ || [[জাপানের ইতিহাস: পুরাণ থেকে জাতিসত্ত্বা/আজুচি–মোমোয়ামা যুগ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৬০৫
|-
|| ৪ || [[জাপানের ইতিহাস: পুরাণ থেকে জাতিসত্ত্বা/মুরোমাচি যুগ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৫৪৭
|-
|| ৫ || [[জাপানের ইতিহাস: পুরাণ থেকে জাতিসত্ত্বা/কামাকুরা যুগ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৭০০
|-
|| ৬ || [[জাপানের ইতিহাস: পুরাণ থেকে জাতিসত্ত্বা/জোমন যুগ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১২৭৮
|-
|| ৭ || [[জাপানের ইতিহাস: পুরাণ থেকে জাতিসত্ত্বা/সংঘর্ষকালীন রাজ্য যুগ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২০৮৯
|-
|| ৮ || [[জাপানের ইতিহাস: পুরাণ থেকে জাতিসত্ত্বা/জাপানে মার্কিন দখল]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩১৮৪
|-
|| ৯ || [[জাপানের ইতিহাস: পুরাণ থেকে জাতিসত্ত্বা/বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী জাপান]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২১৬৪
|-
|| ১০ || [[জাপানের ইতিহাস: পুরাণ থেকে জাতিসত্ত্বা/তাইশো যুগ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৩৭৬
|-
|| ১১ || [[সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/লিঙ্গ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৩২৫৯
|-
|| ১২ || [[সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/সমাজ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২৯২২
|-
|| ১৩ || [[মানব শারীরতত্ত্ব/জিনতত্ত্ব ও বংশগতি]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৬১৮০
|-
|| ১৪ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/প্রজনন তন্ত্র]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৪৫৪৫
|-
|| ১৫ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/অন্তঃক্ষরা তন্ত্র]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৫৪৪৯
|-
|| ১৬ || [[জাপানের ইতিহাস: পুরাণ থেকে জাতিসত্ত্বা/গ্রন্থপঞ্জি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২০৬৭
|-
|| ১৭ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/পৌষ্টিকনালী ও পরিপাক]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৩৮৩৫
|-
|| ১৮ || [[সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/জনসংখ্যাতত্ত্ব]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩৩৮০
|-
|| ১৯ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/স্নায়ুতন্ত্র]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২৮২৫
|-
|| ২০ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/জ্ঞানেন্দ্রিয়সমূহ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৩২১৭
|-
|| ২১ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/দৃষ্টি সংকেত প্রক্রিয়াকরণ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৫৭৬৯
|-
|| ২২ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/মানব স্বররজ্জু/উৎস-ফিল্টার তত্ত্ব]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৪৪৮
|-
|| ২৩ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/ভারসাম্যতন্ত্রের সংকেত প্রক্রিয়াকরণ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৪৪৪
|-
|| ২৪ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/ইরান]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩০০১
|-
|| ২৫ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/ উদ্দীপনাময় বিংশ শতাব্দী এবং নিষেধাজ্ঞা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৫৪১৭
|-
|| ২৬ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/ট্রুম্যান এবং স্নায়ু যুদ্ধ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৬০৬
|-
|| ২৭ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/রাজনৈতিক দর্শন কী?]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৯৪৮
|-
|| ২৮ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/অতিভৌতিকতা কী?]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১০৯৫
|-
|| ২৯ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/সুবিধাবাদ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৮৬৬
|-
|| ৩০ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/ব্যক্তি কী?]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ২৪৬৩
|-
|| ৩১ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/বিস্ফোরণ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৭০১
|-
|| ৩২ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের শব্দবিজ্ঞানগত চ্যালেঞ্জ]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ১২১৬
|-
|| ৩৩ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/পতঙ্গ/দিকনির্ণয়]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৫৮১
|-
|| ৩৪ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/বর্ণ প্রত্যক্ষণ]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ২১৪৪
|-
|| ৩৫ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/মাকড়সা]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৩৯৩২
|-
|| ৩৬ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/প্রতিবেদন/পরিকল্পনা]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ১২৩৫
|-
|| ৩৭ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/জৈবচিকিৎসীয় আলট্রাসাউন্ড]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ১৮৩৬
|-
|| ৩৮ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/অক্টোপাস]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৬৯৭
|-
|| ৩৯ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/মূত্রতন্ত্র]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৩০৪৭
|-
|| ৪০ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/ত্বক]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২৬১২
|-
|| ৪১ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/শ্বসনতন্ত্র]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ২১২১
|-
|| ৪২ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/কোষ]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৩২৩১
|-
|| ৪৩ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/ফ্লোচার্ট]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৮৮৪
|-
|| ৪৪ || [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/তাপগতিবিদ্যা]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ৭৮০
|-
|| ৪৫ || [[তত্ত্ব শিখন/প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষণ: অনুশীলন]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৯০৬
|-
|| ৪৬ || [[সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/পরিবার]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৫৫২৫
|-
|| ৪৭ || [[সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/দৈনন্দিন জীবন/প্রযুক্তি/টেলিভিশন]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৫৬৪
|-
|| ৪৮ || [[সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/শিক্ষা]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২৩৯৬
|-
|| ৪৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:নানরুটি]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৪৪
|-
|| ৫০ || [[রন্ধনপ্রণালী:ছোলার ডাল]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ১৭৭
|-
|| ৫১ || [[রন্ধনপ্রণালী:বাকরখানি]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৭০
|-
|| ৫২ || [[অতীন্দ্রিয়বাদ/বিশ্বাস ও মস্তিষ্ক নিয়ে গবেষণা]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ১৭৭০
|-
|মোট পাতা:||৫২||মোট শব্দ:||১২২২৬৩
|}
== [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|| ১ || [[মানব শারীরতত্ত্ব/অন্তঃক্ষরা গ্রন্থিতন্ত্র]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ৭০৩৭
|-
|| ২ || [[জাপানের ইতিহাস: পুরাণ থেকে জাতিসত্ত্বা/মধ্য হেইয়ান যুগ]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ৯৫৬৫
|-
|| ৩ || [[জাপানের ইতিহাস: পুরাণ থেকে জাতিসত্ত্বা/ইয়াইয়োই যুগ]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ১০৭৪০
|-
|| ৪ || [[জাপানের ইতিহাস: পুরাণ থেকে জাতিসত্ত্বা/আধুনিক জাপান]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৪০৮৪
|-
|| ৫ || [[চিন্তন ও নির্দেশনা/সহযোগিতামূলক এবং অনুসন্ধানভিত্তিক শিখন]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৩৯৯৩
|-
|| ৬ || [[চিন্তন ও নির্দেশনা/শেখার জন্য প্রযুক্তি ও নকশা]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ৭৪৫৫
|-
|| ৭ || [[চিন্তন ও নির্দেশনা/শিখন ও স্মৃতি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৯৩৪৩
|-
|| ৮ || [[চিন্তন ও নির্দেশনা/মেটাকগনিশন ও স্ব-নিয়ন্ত্রিত শেখা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৫৯৪৫
|-
|| ৯ || [[চিন্তন ও নির্দেশনা/পড়তে শেখা]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ৭৩৩৫
|-
|| ১০ || [[চিন্তন ও নির্দেশনা/দীর্ঘমেয়াদী স্মৃতি]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ৫১০১
|-
|| ১১ || [[চিন্তন ও নির্দেশনা/গণিত শেখা]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৮৩৩৫
|-
|| ১২ || [[মানব শারীরতত্ত্ব/রেচনতন্ত্র]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ৫৭৫৩
|-
|| ১৩ || [[চিন্তন ও নির্দেশনা/এনকোডিং ও পুনরুদ্ধার]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২২৬২
|-
|| ১৪ || [[মানব শারীরতত্ত্ব/গর্ভধারণ ও সন্তান প্রসব]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ৮২৭২
|-
|| ১৫ || [[চিন্তন ও নির্দেশনা/সাংবদ্ধ মনোবিজ্ঞানের উৎপত্তি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৬৯৬৪
|-
|মোট পাতা:||১৫||মোট শব্দ:||১১২১৮৪
|}
== [[বাবহারকারী:Anisvai|Anisvai]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|| ১ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/কর্তব্যবাদ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৩৫
|-
|| ২ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/প্রয়োগবাদ]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২৪৭
|-
|| ৩ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/উৎস নথিভুক্তকরণ/তথ্যসূত্র]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৬৭
|-
|| ৪ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/পরিণামবাদ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩৫৪
|-
|| ৫ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/চেতনা বিষয়ক দর্শন]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩৯১
|-
|| ৬ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/সামাজিক চুক্তি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৫৭
|-
|| ৭ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/যুক্তিবিদ্যা/জটিল সূত্র নির্মাণ]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ১০৮
|-
|| ৮ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/অভিজ্ঞতাবাদ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১০১
|-
|| ৯ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/প্রাচীন রাজনৈতিক দর্শন]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৩৪
|-
|| ১০ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/সৌন্দর্যবোধ]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ১৬৭
|-
|মোট পাতা:||১০||মোট শব্দ:||২০৬১
|}
== [[বাবহারকারী:SMontaha32|SMontaha32]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|| ১ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/কম্পিউটার মডেল/ভারসাম্যতন্ত্র সিমুলেশন]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১০৭৩
|-
|| ২ || [[চিন্তন ও নির্দেশনা/বিজ্ঞান শিখন ও ধারণাগত পরিবর্তন]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৪৭৪২
|-
|| ৩ || [[জাপানের ইতিহাস: পুরাণ থেকে জাতিসত্ত্বা/জাপানে বৌদ্ধধর্ম]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৭০৫১
|-
|| ৪ || [[জাপানের ইতিহাস: পুরাণ থেকে জাতিসত্ত্বা/প্রারম্ভিক হেইয়ান যুগ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৯২০৭
|-
|| ৫ || [[জাপানের ইতিহাস: পুরাণ থেকে জাতিসত্ত্বা/কোফুন যুগ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১১৬০৫
|-
|| ৬ || [[জাপানের ইতিহাস: পুরাণ থেকে জাতিসত্ত্বা/অবসানকালীন হেইয়ান যুগ]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৬৭৫
|-
|| ৭ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/মানব স্বররজ্জু]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৯০৬
|-
|| ৮ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/দৃষ্টিতন্ত্র]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১১২১৬
|-
|| ৯ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/ওবামা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২২২১
|-
|| ১০ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/ডব্লিউ. বুশ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩৪৯২
|-
|| ১১ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/নির্দেশাবলি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৬৪২
|-
|| ১২ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/নকশা/শেষাংশ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১০২৯
|-
|| ১৩ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/নকশা]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১০০৫
|-
|| ১৪ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/ধর্মতত্ত্ব]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৯৪৯
|-
|| ১৫ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/যুক্তিবিদ্যা/বাক্যযুক্তির আরও আনুষ্ঠানিক দৃষ্টিভঙ্গি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৯০৫
|-
|| ১৬ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/ব্যবসায়িক যোগাযোগ/চিঠি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৭৬৯
|-
|| ১৭ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/ব্যবসায়িক যোগাযোগ/ওয়েবসাইট]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৯৮০
|-
|| ১৮ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/প্রকল্প ব্যবস্থাপনা/দলসমূহ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৬২১
|-
|| ১৯ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/অলঙ্করণ/অনুমান]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৮২২
|-
|| ২০ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/ব্যবসায়িক যোগাযোগ/মেমো]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১২৭১
|-
|| ২১ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/প্রস্তাবনা]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৭৭৯
|-
|| ২২ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/সম্ভাব্যতা]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৭৬৭
|-
|| ২৩ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/উপস্থাপনা]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩৪১৯
|-
|| ২৪ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/নৈতিকতা/সংস্কৃতি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৩০৪
|-
|| ২৫ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/নকশা/ব্যবহারযোগ্যতা]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ১৩০৯
|-
|| ২৬ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/পেশা/জীবনবৃত্তান্ত]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ২৫৩১
|-
|| ২৭ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/পেশা/কাভার লেটার]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২১৭২
|-
|| ২৮ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/পেশা]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৭৯৮
|-
|| ২৯ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/প্রকল্প ব্যবস্থাপনা]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ৭৬৭
|-
|| ৩০ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/পেশাদার লেখনী সম্বন্ধে]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ৫২৯
|-
|| ৩১ || [[সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/সাধারণ সমাজতাত্ত্বিক তত্ত্ব]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৫১
|-
|| ৩২ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/বাদুড় ও ডলফিনের ইকোলোকেশন]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৫৭৭
|-
|| ৩৩ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/চলন্ত কয়েল লাউডস্পিকার]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৫৯৮
|-
|| ৩৪ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/আলট্রাসনিক মাধ্যমের জন্য নতুন শব্দ ফিল্টার]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৪৮১
|-
|| ৩৫ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/ডিজিটাল নিয়ন্ত্রণের ভূমিকা]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৩৭০
|-
|| ৩৬ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/পোল ও জিরো]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৭০২
|-
|| ৩৭ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/স্টেট-স্পেস স্থিতিশীলতা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৮১৬
|-
|| ৩৮ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/সিস্টেম শনাক্তকরণ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১০৮১
|-
|| ৩৯ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/সিস্টেম মেট্রিক্স]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৫৩৪
|-
|| ৪০ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/স্টেট-স্পেস সমীকরণ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৪৫৬
|-
|| ৪১ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/পিজোইলেকট্রিক ট্রান্সডিউসার]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৬৫৯
|-
|| ৪২ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/স্ব-সমন্বয়ী হেলমহোল্টজ অনুরণকের সাহায্যে কোলাহল নিয়ন্ত্রণ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১১৬৫
|-
|| ৪৩ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/কম্পিউটার মডেল/শ্রবণতন্ত্র সিমুলেশন]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৩৪৯৩
|-
|| ৪৪ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/সময় ভেদে পরিবর্তনশীল সিস্টেম সমাধান]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৮৩৮
|-
|| ৪৫ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/রাষ্ট্রপতিরা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২১৬১
|-
|| ৪৬ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/ভারসাম্যতন্ত্রের অঙ্গসংস্থান]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৭৪২
|-
|| ৪৭ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/অন্যান্য প্রাণী]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩০৪৬
|-
|| ৪৮ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/বিপ্লবের পথে]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৪৪৭৬
|-
|| ৪৯ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/আইজেনহাওয়ার নাগরিক অধিকার পঞ্চাশের দশক]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৩৯৩৪
|-
|| ৫০ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/স্নায়ুসংবেদী ইমপ্লান্ট]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৫১৫৫
|-
|| ৫১ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/প্রাক-কলম্বীয়]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৪১৯
|-
|| ৫২ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/আবিষ্কারের যুগ ও গিল্ডেড যুগ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩২৫৯
|-
|| ৫৩ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/স্প্যানিশ গৃহযুদ্ধ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৪৪০
|-
|| ৫৪ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/সংবিধানের প্রাথমিক বছরগুলি]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৭৭৯
|-
|| ৫৫ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/পুনর্গঠন]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৩৯০৩
|-
|| ৫৬ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/ইংরেজ উপনিবেশ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩৬৫২
|-
|| ৫৭ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/সামুদ্রিক প্রাণী]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৮৪২
|-
|| ৫৮ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/ভারসাম্যতন্ত্র]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১২৫৩
|-
|| ৫৯ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/স্নায়ুসংবেদী ইমপ্লান্ট/ভবিষ্যতের দিকনির্দেশনা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৪২৮
|-
|| ৬০ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/কম্পিউটার মডেল/স্নায়বিক সিমুলেশন]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৪৪৬২
|-
|| ৬১ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/বোডি চিত্র]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ১০৪০
|-
|| ৬২ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/ফিল্টার ডিজাইন ও বাস্তবায়ন]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৯২৭
|-
|| ৬৩ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/পতঙ্গ/হ্যালটেরেস]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৫৯৮
|-
|| ৬৪ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/বহুসংবেদী একত্রীকরণ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৬৯১
|-
|| ৬৫ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/পাখি/চৌম্বক উপলব্ধি]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩৫৭৯
|-
|| ৬৬ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/কম্পিউটার মডেল/ঘ্রাণতন্ত্র সিমুলেশন]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৪৭২
|-
|| ৬৭ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/দৃষ্টিতন্ত্র/দৃষ্টিতন্ত্রের আন্তঃপ্রজাতি তুলনা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৪২৭
|-
|| ৬৮ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/হাঙ্গর]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২০৭৪
|-
|| ৬৯ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/অ-প্রাইমেট পাখির গান]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৭৯৯
|-
|| ৭০ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/স্নায়ুসংবেদী ইমপ্লান্ট/কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৪৩১
|-
|| ৭১ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/কম্পিউটার মডেল/বাক্ প্রত্যক্ষণ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৮৩২
|-
|| ৭২ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/ব্যথার শারীরবিদ্যা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৯৩৩
|-
|| ৭৩ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/দেহসংবেদী তন্ত্রে স্পর্শলোম]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৫৩০
|-
|| ৭৪ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/অন্যান্য প্রাণী/ইকোলোকেশনকারী দাঁতযুক্ত তিমি]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৭০৫
|-
|| ৭৫ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/দৃষ্টিতন্ত্র/ইন ভিভো ইমেজিং]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৯৮০
|-
|| ৭৬ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/দৃষ্টিতন্ত্র/পুরাতন/সংবেদী অঙ্গের উপাদান]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৮৬৪
|-
|| ৭৭ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/স্নায়ুসংবেদী ইমপ্লান্ট/ভবিষ্যতের দিকনির্দেশনা/অপটোজেনেটিক্স]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৯১৫
|-
|| ৭৮ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/স্নায়ুসংবেদী ইমপ্লান্ট/ভেস্টিবুলার ইমপ্লান্ট]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৫৪৭
|-
|| ৭৯ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/স্নায়ুসংবেদী ইমপ্লান্ট/রেটিনাল ইমপ্লান্ট]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৩৯৭০
|-
|| ৮০ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/লসিকা তন্ত্র]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৮৩৩
|-
|| ৮১ || [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/লম্ব বল ও ঘর্ষণ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৭৫৪
|-
|| ৮২ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/শব্দকোষ/গ-ঘ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৮১
|-
|| ৮৩ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/শব্দকোষ/থ-ধ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৯৮
|-
|| ৮৪ || [[সাধারণ বলবিজ্ঞান/নিয়ন্ত্রিত গতি]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৬০৮
|-
|| ৮৫ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/শব্দকোষ/ক-খ]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৮১
|-
|| ৮৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:মাছের টিক্কি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৩০
|-
|| ৮৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:রস পিঠা]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২২৩
|-
|| ৮৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:কুমড়ো ঘন্ট]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২১২
|-
|| ৮৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:আমের টক]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৫৬
|-
|| ৯০ || [[রন্ধনপ্রণালী:মিষ্টি পুলি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৮৩
|-
|| ৯১ || [[রন্ধনপ্রণালী:গোমাংস ভুনা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২০৩
|-
|| ৯২ || [[রন্ধনপ্রণালী:সবজি নুডলস]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২১০
|-
|| ৯৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:মাংসের চচ্চড়ি]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২১১
|-
|| ৯৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:বিফ স্যুপ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৯৫
|-
|| ৯৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:লাল সেমাই]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৯৮
|-
|| ৯৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:কোরমা খিচুড়ি]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৭৭
|-
|| ৯৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:পাবদা মাছের ঝোল]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২০৭
|-
|| ৯৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:গরুর রেজালা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৯৪
|-
|| ৯৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:মুরগির কাটলেট]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৬৭
|-
|| ১০০ || [[রন্ধনপ্রণালী:চাপাটি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৯১
|-
|| ১০১ || [[রন্ধনপ্রণালী:বিফ কালিয়া]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৬৩
|-
|| ১০২ || [[রন্ধনপ্রণালী:মুরগি ভুনা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৩৪
|-
|| ১০৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিকেন কারি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৫৩
|-
|| ১০৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:নান রুটি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৬৮
|-
|| ১০৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:বুটের বড়া]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৪৪
|-
|| ১০৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:মুগডালের বড়া]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৩৬
|-
|| ১০৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:মুরগির কোপ্তা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩১৯
|-
|| ১০৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:শসা ভর্তা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৮২
|-
|| ১০৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:মটর ডাল]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২১৮
|-
|মোট পাতা:||১০৯||মোট শব্দ:||১৭৯৫৭১
|}
== [[বাবহারকারী:RDasgupta2020|RDasgupta2020]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|| ১ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/MIMO সিস্টেম]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১০৫০
|-
|| ২ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/ম্যাট্রিক্স অপারেশন]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১২৩৫
|-
|| ৩ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/ওপেন সোর্স টুল/সাইল্যাব]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৭০৮
|-
|| ৪ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/বাস্তবায়ন]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৪৮৭
|-
|| ৫ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/সিস্টেম বিলম্ব]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৯৩৪
|-
|| ৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:চাল পটল]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৪৪
|-
|| ৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:সর্ষে ফুলের বড়া]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৮১
|-
|| ৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:দুধ মুগ পটল]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৪২
|-
|| ৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:গন্ধরাজ পটল]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২০৭
|-
|| ১০ || [[রন্ধনপ্রণালী:হিং-এর কচুরি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৬৫
|-
|| ১১ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিংড়ি মাছের বিরিয়ানি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৩৭
|-
|| ১২ || [[রন্ধনপ্রণালী:পমফ্রেট সর্ষে পোস্ত]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৫৫
|-
|| ১৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:কুমড়োর বড়া]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২০২
|-
|| ১৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:বকফুলের বড়া]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৩৯
|-
|| ১৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিচিঙ্গা ভর্তা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৩১
|-
|| ১৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিংড়ির পুরভরা বেগুনভাজা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৪৭
|-
|| ১৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:রুই মাছ ভুনা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৭২
|-
|| ১৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:মোচার পুর দিয়ে পাটিসাপটা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৪১২
|-
|| ১৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:মালাই পাবদা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৩৪
|-
|| ২০ || [[রন্ধনপ্রণালী:গন্ধরাজ ঘোল পোলাও]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৪১৪
|-
|| ২১ || [[রন্ধনপ্রণালী:গন্ধরাজ ভাপা মাছ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৪১৪
|-
|| ২২ || [[রন্ধনপ্রণালী:কাঁচা আমের চিলি চিকেন]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৪৯
|-
|| ২৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:তিল পটল]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৫৬
|-
|| ২৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:পোস্ত দিয়ে পাঁঠার মাংস]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৯৮
|-
|| ২৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:ডিম বেগুনের ভর্তা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৯০
|-
|| ২৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:মুলো ছেঁচকি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৫৮
|-
|| ২৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:লাউ ছেঁচকি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৭২
|-
|| ২৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:লেবুর কাজি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২১৭
|-
|| ২৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:ডাবের জল আর শাঁস দিয়ে পুডিং]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৪২
|-
|| ৩০ || [[রন্ধনপ্রণালী:কাঁচা আম দিয়ে পনির ভাপা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৫১
|-
|| ৩১ || [[রন্ধনপ্রণালী:তেঁতুলের শরবত]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৭০
|-
|| ৩২ || [[রন্ধনপ্রণালী:বেলের পানার শরবত]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৬৬
|-
|| ৩৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:পুর ভরা ঝিঙে]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৭৪
|-
|| ৩৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:পোস্তর বাটিচচ্চড়ি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৫৮
|-
|| ৩৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:ইলিশের একচড়া]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩১৭
|-
|| ৩৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:মুলোর ঘণ্ট]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৩৫
|-
|| ৩৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:কমলালেবু দিয়ে কই মাছ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৪০২
|-
|| ৩৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:সজনে ডাঁটার পোড়া ভর্তা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৭৮
|-
|| ৩৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:ছানার চচ্চড়ি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৫৬
|-
|| ৪০ || [[রন্ধনপ্রণালী:ডিম সর্ষে]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২০৬
|-
|| ৪১ || [[রন্ধনপ্রণালী:দুধ লাউ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৩০
|-
|| ৪২ || [[রন্ধনপ্রণালী:কুমড়োর ছেঁচকি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৫৮
|-
|| ৪৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:এঁচোড়ের বিরিয়ানি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৪৫৭
|-
|| ৪৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:কুমড়ো ভাপা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২০৩
|-
|| ৪৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:কুদরির তরকারি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২১৬
|-
|| ৪৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:বোয়াল মাছের কষা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩২০
|-
|| ৪৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:শিং মাছ ভুনা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২০৭
|-
|| ৪৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:বোয়াল মাছের তেল ঝাল]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩১১
|-
|| ৪৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:ঢেঁড়স আলুর তরকারি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৭৪
|-
|| ৫০ || [[রন্ধনপ্রণালী:চন্দ্রপুলি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৮৫
|-
|| ৫১ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/সিস্টেম উপস্থাপন]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৬৩
|-
|| ৫২ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/সিস্টেম মডেলিং]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১২৩৯
|-
|| ৫৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:মোহন ভোগ মিষ্টি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৪৭৫
|-
|| ৫৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:বৈকুন্ঠ ভোগ মিষ্টি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৫০
|-
|| ৫৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:দিলখুশ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৩৮
|-
|| ৫৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:আমসত্ত্ব সন্দেশ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২০৩
|-
|| ৫৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:পাকা আমের কালাকান্দ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩১৯
|-
|| ৫৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:ইলিশ পেটি সন্দেশ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩০৭
|-
|| ৫৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:মতিচুরের পায়েস]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২০৯
|-
|| ৬০ || [[রন্ধনপ্রণালী:মনোহরা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩০৫
|-
|| ৬১ || [[রন্ধনপ্রণালী:মেচা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৪৭
|-
|| ৬২ || [[রন্ধনপ্রণালী:কলার থোড়ের ঘন্ট]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৬৫
|-
|| ৬৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:হালিম]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৪৭৬
|-
|| ৬৪ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/আধুনিক নিয়ন্ত্রণ]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ১১৩
|-
|| ৬৫ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/টারবাইন ব্লেডের শব্দ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৯৮৬
|-
|| ৬৬ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/বেসেল ফাংশন ও কেটলড্রাম]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১১৫৫
|-
|| ৬৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:কলার থোড়ের চচ্চড়ি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৯৬
|-
|| ৬৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:ল্যাটা মাছের বাটি পোড়া]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৬৩
|-
|| ৬৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:ল্যাটা মাছের ঝাল]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৯৬
|-
|| ৭০ || [[রন্ধনপ্রণালী:মোচার পাতুরি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩২১
|-
|| ৭১ || [[রন্ধনপ্রণালী:শিউলি পাতার বড়া]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩০৬
|-
|| ৭২ || [[রন্ধনপ্রণালী:মোচার চপ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৭০
|-
|| ৭৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:ডুমুরের তরকারি]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৬২
|-
|| ৭৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:ঝিঙে বাটা]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৫৮
|-
|| ৭৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:মাছের ডিম ভাপা]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৭০
|-
|| ৭৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:কুমড়োর ছক্কা]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৬৪
|-
|| ৭৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:ঝিঙে জলবড়া]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৫৮
|-
|| ৭৮ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/রৈখিক সিস্টেম সমাধান]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৩৭৩
|-
|| ৭৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:বাসন্তী পোলাও]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৬৮
|-
|| ৮০ || [[রন্ধনপ্রণালী:কাতলা মাছের রেজালা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৪০৫
|-
|| ৮১ || [[রন্ধনপ্রণালী:শিম চিংড়ি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৩১
|-
|| ৮২ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/শৈলীর নির্দেশিকা]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৩৬৯
|-
|| ৮৩ || [[রাজনৈতিক যোগাযোগের উপাদান/সাধারণ নির্দেশিকা/শব্দ]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ১৩১
|-
|| ৮৪ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/বলকৃত দোলন (সাধারণ স্প্রিং-ভর সিস্টেম)]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ২৯৩
|-
|| ৮৫ || [[রাজনৈতিক যোগাযোগের উপাদান/সাধারণ নির্দেশিকা/গুরুত্ব]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ১৪২
|-
|| ৮৬ || [[রাজনৈতিক যোগাযোগের উপাদান/সাধারণ নির্দেশিকা/বিন্যাস]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ২২১
|-
|| ৮৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:ঝিঙে আলু পোস্ত]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৮৬
|-
|| ৮৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:দইয়ের মালপোয়া]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৯৭
|-
|| ৮৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:মানকচুর জিলিপি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৪১
|-
|| ৯০ || [[রন্ধনপ্রণালী:মিষ্টি কুমড়ার পায়েস]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৮৯
|-
|| ৯১ || [[রন্ধনপ্রনালী:শিমের ঝাল]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৪০
|-
|| ৯২ || [[রন্ধনপ্রনালী:শিম পোস্ত]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৯৬
|-
|| ৯৩ || [[রন্ধনপ্রনালী:শিমের ঝোল]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৮৪
|-
|| ৯৪ || [[রন্ধনপ্রনালী:শিম বেগুনের তরকারি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩১৩
|-
|| ৯৫ || [[রাজনৈতিক যোগাযোগের উপাদান/ডিজিটাল মিডিয়া নির্দেশিকা/ওয়েবসাইট]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৫২২
|-
|| ৯৬ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/সমাধান পদ্ধতি: তড়িৎ-যান্ত্রিক সাদৃশ্য]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৪০৮
|-
|| ৯৭ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/সমতল তরঙ্গের প্রতিফলন ও সঞ্চালন]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৭০৬
|-
|| ৯৮ || [[রাজনৈতিক যোগাযোগের উপাদান/সাধারণ নির্দেশিকা/সংক্ষিপ্ততা]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ১৩৩
|-
|| ৯৯ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/অবমন্দিত যান্ত্রিক সিস্টেমের বৈশিষ্ট্যনির্ণয়]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৫৯৭
|-
|| ১০০ || [[উইকিশৈশব:কণা/পদার্থের তিন দশা]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৮৮
|-
|| ১০১ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/সমতলীয় তরঙ্গের প্রতিফলন ও সঞ্চালন]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৭৩৩
|-
|| ১০২ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/তড়িৎ-যান্ত্রিক সাদৃশ্যের সমাধান পদ্ধতি]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৪৪১
|-
|| ১০৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:ছানার পাতুরি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩৪৯
|-
|| ১০৪ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/তড়িৎ-যান্ত্রিক সাদৃশ্য]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৯৬৭
|-
|| ১০৫ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/ফিল্টার ডিজাইনের প্রস্তাবনা]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২১০
|-
|| ১০৬ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/সীমান্ত শর্তাবলী ও বলকৃত কম্পন]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৯৫৯
|-
|| ১০৭ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/চলন্ত অনুরণক]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ১৫৯
|-
|| ১০৮ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/অরৈখিকতার শব্দীয় পরামিতি]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ১০৪৫
|-
|| ১০৯ || [[উইকিশৈশব:কণা/কণার মডেল]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৩৯৬
|-
|| ১১০ || [[উইকিশৈশব:কণা/গ্যাসের চাপ]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৬৭৫
|-
|| ১১১ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/সীমান্ত শর্তাবলী ও তরঙ্গের বৈশিষ্ট্য]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৭৭৫
|-
|| ১১২ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিংড়ি মুসুড়ি ভর্তা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩২০
|-
|| ১১৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:গোলবাড়ির মাংস]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৪৫৯
|-
|| ১১৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:মাটনের কবিরাজি কাটলেট]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৪২৩
|-
|| ১১৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:ভেটকি মাছের কবিরাজি কাটলেট]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩৫০
|-
|| ১১৬ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/ফাইল এক্সটেনশন দেখানো/লুকানো]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৩৪৪
|-
|| ১১৭ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/সুইফট ভেরিয়েবল উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২৪২
|-
|| ১১৮ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/সি-শার্প ভেরিয়েবল উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২৮০
|-
|| ১১৯ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/পর্যালোচনা: ফাউন্ডেশন টপিকস গ্রুপ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৪৬
|-
|| ১২০ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিংড়ি কাবাব]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৮৩
|-
|| ১২১ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/অনুশীলন: অবজেক্ট-ওরিয়েন্টেড প্রোগ্রামিং]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৪২৪
|-
|| ১২২ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/অবজেক্ট-ওরিয়েন্টেড প্রোগ্রামিং]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৬১
|-
|| ১২৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:তেঁতুলে চিংড়ি]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩৩৯
|-
|| ১২৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:ভেটকি রোস্ট]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩৭৮
|-
|| ১২৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:তেল কই]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৮৯
|-
|| ১২৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:বোরোলি মাছের পাতুরি]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৬৯
|-
|| ১২৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:শসা চিংড়ির কারি]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৫৭
|-
|| ১২৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:বোরোলি মাছের তেল-ঝাল]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৮৯
|-
|| ১২৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:কই মাছের হরগৌরী]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩৫৫
|-
|| ১৩০ || [[রন্ধনপ্রনালী:টঙ্কা তোরানি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৭৮
|-
|| ১৩১ || [[রন্ধনপ্রনালী:কাঁচা আম দিয়ে পটলের চচ্চড়ি]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৫৭
|-
|| ১৩২ || [[রন্ধনপ্রনালী:ভেটকি মাছের চারমৌলি]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৬১
|-
|| ১৩৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিংড়ি পোস্তো]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৬৪
|-
|| ১৩৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:গলদা চিংড়ি রসা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৯২
|-
|| ১৩৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিতল মাছের তেল ঝাল]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৬১
|-
|| ১৩৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিতল মাছের কালিয়া]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩৩৯
|-
|| ১৩৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিতল মাছের রসা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৮২
|-
|| ১৩৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:তন্দুরি চিংড়ি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩৬০
|-
|| ১৩৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:এঁচড় চিংড়ি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৯৪
|-
|| ১৪০ || [[রন্ধনপ্রণালী:ইলিশ কাবাব]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩১৩
|-
|| ১৪১ || [[রন্ধনপ্রণালী:ইলিশ মাছের মালাইকারি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৩৫
|-
|| ১৪২ || [[রন্ধনপ্রনালী:আমের ফিরনি]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৬৯
|-
|| ১৪৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিংড়ি কচু]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ৩০০
|-
|| ১৪৪ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/সিলেকশন কন্ট্রোল স্ট্রাকচার]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৪৭৩
|-
|| ১৪৫ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/পর্যালোচনা: উন্নত বিষয় গ্রুপ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৪৫
|-
|| ১৪৬ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/গুরুত্বপূর্ণ প্রাথমিক চলকসমূহ]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৭৩৯
|-
|| ১৪৭ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/ইউনারি অপারেশন]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৬৯২
|-
|| ১৪৮ || [[রন্ধনপ্রনালী:খস খস শরবত]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৪০
|-
|| ১৪৯ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/প্যারামিটার এবং আর্গুমেন্ট]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৭৫৪
|-
|| ১৫০ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/পর্যালোচনা: মডুলার প্রোগ্রামিং গ্রুপ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৪৬
|-
|| ১৫১ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/পর্যালোচনা: স্ট্রাকচার্ড প্রোগ্রামিং গ্রুপ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৬৮
|-
|| ১৫২ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিতল মাছের মুইঠ্যা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৩৩
|-
|| ১৫৩ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/ফিল্টার ডিজাইনের রূপরেখা]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৯১
|-
|| ১৫৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:ভেটকি বেগম বাহার]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩২১
|-
|| ১৫৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:ফুলকপি সর্ষে]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৩৭
|-
|| ১৫৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:বোরোলি মাছের চচ্চড়ি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৩১
|-
|| ১৫৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:বোরোলি মাছের ঝোল]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩১৫
|-
|| ১৫৮ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/অনুশীলন: স্ট্রিং এবং ফাইল]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ১৪৮৫
|-
|| ১৫৯ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/অ্যারে অনুসন্ধান]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৫২৫
|-
|| ১৬০ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিংড়ি কাসুন্দি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৭২
|-
|| ১৬১ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিংড়ি মুগের ডাল]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৮৪
|-
|| ১৬২ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/অনুশীলন: স্ট্যান্ডার্ড লাইব্রেরি]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৫১১
|-
|| ১৬৩ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/ফাংশনের জন্য স্যুডোকোড উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ২২৫
|-
|| ১৬৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:সাদা ইলিশ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৭৩
|-
|| ১৬৫ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/অনুশীলন: নির্দিষ্ট কাজের ফাংশন]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৬৮১
|-
|| ১৬৬ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/স্ট্যান্ডার্ড লাইব্রেরি]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ১১২০
|-
|| ১৬৭ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/রিটার্ন স্টেটমেন্ট]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৫৮৬
|-
|| ১৬৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:কলমি চিংড়ি ভাজা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৭৬
|-
|| ১৬৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:রন্ধনপ্রণালী:ভেটকি পোস্তো]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৬৪
|-
|| ১৭০ || [[রন্ধনপ্রণালী:খেজুর চিংড়ি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৮৮
|-
|| ১৭১ || [[রন্ধনপ্রণালী:ইলিশ মাছের মুড়িঘন্ট]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৩৮
|-
|| ১৭২ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিংড়ি মাছের ঘুগনি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩১৩
|-
|| ১৭৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:আম চিংড়ী]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৩৪
|-
|| ১৭৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিংড়ি মধুক্ষীরা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৫৯
|-
|| ১৭৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:শিংমাছে করোলা চচ্চড়ি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৯০
|-
|| ১৭৬ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/নেস্টেড ইফ দেন এলস]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৪৯৩
|-
|| ১৭৭ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/বহুমাত্রিক অ্যারে]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৬৭৮
|-
|| ১৭৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:লাউপাতার খিলিতে কাচকি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩১৫
|-
|| ১৭৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:রুপচাদা দোপেঁয়াজা]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩১৬
|-
|| ১৮০ || [[রন্ধনপ্রণালী:মাছের ডিমের পুঁইখিলি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৬৭
|-
|| ১৮১ || [[রন্ধনপ্রণালী:কই মাছের দোপেঁয়াজা]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৮৪
|-
|| ১৮২ || [[রন্ধনপ্রণালী:দোমাছা]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৮১
|-
|| ১৮৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:গোকুল পিঠে]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৬৯
|-
|| ১৮৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:ছানা গজা]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৭১
|-
|| ১৮৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:ছানাবড়া]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩৩৭
|-
|| ১৮৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:রসাবলী]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৩৬
|-
|| ১৮৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:সাগর দই]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৮১
|-
|| ১৮৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:ছানার জিলিপি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৬৭
|-
|| ১৮৯ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/মডুলার প্রোগ্রামিং]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ২১৫৪
|-
|| ১৯০ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/ইনপুট-প্রসেস-আউটপুট মডেল]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৪৮৩
|-
|| ১৯১ || [[রন্ধনপ্রণালী:পেঁয়াজের পায়েস]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৬৬
|-
|| ১৯২ || [[রন্ধনপ্রণালী:মালাই সন্দেশ]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২১২
|-
|| ১৯৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:রাজভোগ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩১৪
|-
|| ১৯৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:সজনে ফুল ভাজি]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২৩৪
|-
|| ১৯৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:নটিশাক]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২২৪
|-
|| ১৯৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:ঘি ভাত]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২৭৪
|-
|| ১৯৭ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/হায়ারার্কি বা স্ট্রাকচার চার্ট]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩৬৪
|-
|| ১৯৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:ঘন দুধের সন্দেশ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩৭৩
|-
|| ১৯৯ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/আইডেন্টিফায়ারের নাম]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৪১১
|-
|| ২০০ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/ইনপুট এবং আউটপুট]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ৪৩২
|-
|| ২০১ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/ফাইল ইনপুট এবং আউটপুট]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ১৯৫৫
|-
|| ২০২ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/ব্রাঞ্চিং স্টেটমেন্ট]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ২১৫০
|-
|মোট পাতা:||২০২||মোট শব্দ:||৮১৩৮৫
|}
== [[বাবহারকারী:Firuz Ahmmed|Firuz Ahmmed]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|| ১ || [[জাপানের ইতিহাস: পুরাণ থেকে জাতিসত্ত্বা/মেইজি যুগ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩১৯৩
|-
|| ২ || [[জাপানের ইতিহাস: পুরাণ থেকে জাতিসত্ত্বা/দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩০০২
|-
|| ৩ || [[জাপানের ইতিহাস: পুরাণ থেকে জাতিসত্ত্বা/এদো যুগ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩০৩৭
|-
|| ৪ || [[জাপানের ইতিহাস: পুরাণ থেকে জাতিসত্ত্বা/কেম্মু পুনরুদ্ধার]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১২৯১
|-
|| ৫ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/উদারবাদ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৪৩১
|-
|| ৬ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/মার্ক্স ও মার্ক্সবাদীরা]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২৬২
|-
|| ৭ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/যুক্তিবিদ্যা/আনুষ্ঠানিক যুক্তি]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৪৮
|-
|| ৮ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/অতীন্দ্রিয়বাদী ধর্মতত্ত্ব ও অতীন্দ্রিয়বাদ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২২০
|-
|| ৯ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/বিজ্ঞান দর্শন]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৫০৪
|-
|| ১০ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/নকশা/নথির বিন্যাস]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৬৯৭
|-
|| ১১ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/প্রাথমিক ধারণা/পুনর্লিখন]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২২১৯
|-
|| ১২ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/স্টেট ফিডব্যাক]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৭৮৫
|-
|| ১৩ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/ওপেন সোর্স টুল/জুলিয়া]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ৪১৮
|-
|| ১৪ || [[ত্রিমাত্রিক মুদ্রণ/রক্ষণাবেক্ষণ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৬
|-
|| ১৫ || [[ত্রিমাত্রিক মুদ্রণ/ইতিহাস]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৯২
|-
|| ১৬ || [[ত্রিমাত্রিক মুদ্রণ/ব্যবহৃত উপকরণ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩৫৮
|-
|| ১৭ || [[ত্রিমাত্রিক মুদ্রণ/উন্নয়ন]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ২২
|-
|| ১৮ || [[ত্রিমাত্রিক মুদ্রণ/রঙিন মুদ্রণ]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ১৩৫
|-
|| ১৯ || [[ত্রিমাত্রিক মুদ্রণ/প্রয়োগসমূহ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৭৫
|-
|| ২০ || [[ত্রিমাত্রিক মুদ্রণ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১১৯
|-
|| ২১ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/কক্ষের মৌলিক শব্দীয় ব্যবস্থাপনা]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৮৯২
|-
|| ২২ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/কম্পিউটার মডেল/দেহসংবেদী তন্ত্র সিমুলেশন]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৮৯৪
|-
|| ২৩ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/মারিম্বার মৌলিক শব্দবিজ্ঞান]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৯৬৬
|-
|| ২৪ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/মাইক্রোফোন কৌশল]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৪৫০
|-
|| ২৫ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/অনুমানকারী ও পর্যবেক্ষক]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৮৯০
|-
|| ২৬ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/ঘ্রাণতন্ত্র/সংবেদী অঙ্গ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৭০
|-
|| ২৭ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/রোটার-স্টেটর মিথস্ক্রিয়া]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৫২৩
|-
|| ২৮ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/শব্দতরঙ্গের অ্যাটেনুয়েশন]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৬৩৪
|-
|| ২৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:মিল্লি ভাত]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৪৪২
|-
|| ৩০ || [[কোয়ান্টাম জগৎ/প্রভাব ও প্রয়োগ/অস্পষ্ট অবস্থান কীভাবে আরও অস্পষ্ট হয়]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ২৭৪
|-
|| ৩১ || [[কোয়ান্টাম জগৎ/প্রভাব ও প্রয়োগ/সময়স্বাধীন শ্রোডিনগার সমীকরণ]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৮৫
|-
|| ৩২ || [[কানাডায় শরনার্থী প্রক্রিয়া/আচরণবিধি]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ১৮৪৫
|-
|| ৩৩ || [[উইকিশৈশব:চলো নাইকার গুহাতে স্ফটিকীকরণ নিয়ে কথা বলি/১৫ - এখন তুমি জানো কীভাবে স্ফটিক তৈরি হয়েছে]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৬৯
|-
|| ৩৪ || [[উইকিশৈশব:চলো নাইকার গুহাতে স্ফটিকীকরণ নিয়ে কথা বলি/১৪ - উভয় গুহায় তাপমাত্রা]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৮৪
|-
|| ৩৫ || [[উইকিশৈশব:চলো নাইকার গুহাতে স্ফটিকীকরণ নিয়ে কথা বলি/১৩ - স্ফটিকের গুহায় স্ফটিক গঠন]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৯৯
|-
|| ৩৬ || [[উইকিশৈশব:চলো নাইকার গুহাতে স্ফটিকীকরণ নিয়ে কথা বলি/১১ - অণুগুলো স্তরে স্তরে একত্রিত হয়]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৮১
|-
|| ৩৭ || [[উইকিশৈশব:চলো নাইকার গুহাতে স্ফটিকীকরণ নিয়ে কথা বলি/১০ - জিপসাম স্ফটিকের পরমাণু ও অণু]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৯০
|-
|| ৩৮ || [[উইকিশৈশব:চলো নাইকার গুহাতে স্ফটিকীকরণ নিয়ে কথা বলি/৮ - কাচ ও স্ফটিকের অণু]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৮৩
|-
|| ৩৯ || [[উইকিশৈশব:চলো নাইকার গুহাতে স্ফটিকীকরণ নিয়ে কথা বলি/৭ - সবকিছু পরমাণু দিয়ে গঠিত]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৭৭
|-
|| ৪০ || [[উইকিশৈশব:চলো নাইকার গুহাতে স্ফটিকীকরণ নিয়ে কথা বলি/৬ - কাচ ও স্ফটিক]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৭৩
|-
|| ৪১ || [[উইকিশৈশব:চলো নাইকার গুহাতে স্ফটিকীকরণ নিয়ে কথা বলি/৫ - উভয় গুহায় জিপসাম স্ফটিক]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৬৭
|-
|| ৪২ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/জেফারসনীয় গণতন্ত্র]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ২১২০
|-
|| ৪৩ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/ধর্মীয় আন্দোল]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৯৩৯
|-
|| ৪৪ || [[উইকিশৈশব:চলো নাইকার গুহাতে স্ফটিকীকরণ নিয়ে কথা বলি/৪ - স্ফটিকের গুহা]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৭০
|-
|| ৪৫ || [[উইকিশৈশব:চলো নাইকার গুহাতে স্ফটিকীকরণ নিয়ে কথা বলি/২ - নাইকার গুহাসমূহ]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৬৬
|-
|| ৪৬ || [[উইকিশৈশব:চলো নাইকার গুহাতে স্ফটিকীকরণ নিয়ে কথা বলি/৩ - তরবারির গুহা]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৬৮
|-
|| ৪৭ || [[কোয়ান্টাম জগৎ/প্রভাব ও প্রয়োগ/সম্ভাব্যতার প্রবাহ]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৩৪৯
|-
|| ৪৮ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/দৃষ্টিতন্ত্র/চিত্র প্রক্রিয়াকরণ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৭৬০
|-
|| ৪৯ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/সিস্টেম ডেভেলপমেন্ট লাইফ সাইকেল]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৫৫১
|-
|| ৫০ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/স্ট্রাকচার্ড প্রোগ্রামিং]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৬৭৪
|-
|| ৫১ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/সি++ ভেরিয়েবল উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৫৬০
|-
|| ৫২ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/জাভা ভেরিয়েবল উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৪৫৯
|-
|| ৫৩ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/টাইপডেফ সহ বহুমুখী কোড]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৪৩০
|-
|| ৫৪ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/গেইন]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৫১
|-
|| ৫৫ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/অনুশীলন: লুপের আগে পরীক্ষা]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৪৬০
|-
|| ৫৬ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/স্যুডোকোড]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৩৫৬
|-
|| ৫৭ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/ফ্ল্যাগ ধারণা/ওশেনিয়ার ফ্ল্যাগ]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ২৮
|-
|| ৫৮ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/ঘ্রাণতন্ত্র/সংবেদী অঙ্গের উপাদান]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৭৯৩
|-
|| ৫৯ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/স্নায়ুসংবেদী ইমপ্লান্ট/দৃষ্টি ইমপ্লান্ট]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৮৯
|-
|| ৬০ || [[মাধ্যমিক পদার্থবিজ্ঞান/সংক্ষিপ্ত দৃষ্টিপাত]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৪৮০
|-
|| ৬১ || [[মাধ্যমিক পদার্থবিজ্ঞান/পদার্থবিজ্ঞান পরীক্ষা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৮৪
|-
|| ৬২ || [[মাধ্যমিক পদার্থবিজ্ঞান/নিউটনের আপেল]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৭১
|-
|| ৬৩ || [[মাধ্যমিক পদার্থবিজ্ঞান/ঘূর্ণন গতি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৬৭
|-
|| ৬৪ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/ম্যানাকিন পাখির অনুরণিত পালক]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৬৯৪
|-
|| ৬৫ || [[মাধ্যমিক পদার্থবিজ্ঞান/সহজ দোলন]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৯৬
|-
|| ৬৬ || [[মাধ্যমিক পদার্থবিজ্ঞান/তরঙ্গ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৮৭
|-
|| ৬৭ || [[মাধ্যমিক পদার্থবিজ্ঞান/বেগ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৯৬
|-
|| ৬৮ || [[মাধ্যমিক পদার্থবিজ্ঞান/মহাকর্ষ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৬৬
|-
|| ৬৯ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/কক্ষ শব্দবিজ্ঞান ও কনসার্ট হল]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৬২৬
|-
|| ৭০ || [[রন্ধনপ্রণালী:চপ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৪৯
|-
|| ৭১ || [[রন্ধনপ্রণালী:কাচকি মাছ ভাজি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩১৫
|-
|| ৭২ || [[রন্ধনপ্রণালী:কাচকি মাছের চচ্চড়ি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৭৮
|-
|| ৭৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:লেটুস পাতা ভাজি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩২১
|-
|| ৭৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:সজনে পাতার ভাজি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৩৪
|-
|| ৭৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:কচুর লতি ভাজি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৩০
|-
|| ৭৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:ময়দার নুডলস]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৪৮১
|-
|| ৭৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:কাঁচকলার ডালনা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৭৭
|-
|| ৭৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:টক দই চাট]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩২৩
|-
|| ৭৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:ডালের চচ্চড়ি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৯৬
|-
|| ৮০ || [[রন্ধনপ্রণালী:সবজি মিক্স চপ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৫৩
|-
|| ৮১ || [[রন্ধনপ্রণালী:সবজির স্যান্ডউইচ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩১৫
|-
|| ৮২ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/গাড়ির মাফলার]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৯৪৮
|-
|| ৮৩ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/গাড়ির মাফলার: অ্যানিমেশন]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৬৪
|-
|| ৮৪ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/ডিজিটাল সিস্টেম]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১১৯
|-
|| ৮৫ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/সোনার]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৪৪
|-
|| ৮৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:লাল শাক ভর্তা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৪২৬
|-
|| ৮৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:আনারসের আচারি চিকেন]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৫৭৫
|-
|| ৮৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:মিষ্টি কুমড়ার চচ্চড়ি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৪৫৪
|-
|| ৮৯ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/শব্দের গতি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৪৪৪
|-
|| ৯০ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/স্বররজ্জু]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৫৯২
|-
|| ৯১ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/বজ্রপাতের শব্দবিজ্ঞান]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১০৯৪
|-
|| ৯২ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/কর্ণের যান্ত্রিক মডেলিং]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩৯
|-
|| ৯৩ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/উদাহরণসমূহ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩৩
|-
|| ৯৪ || [[কোয়ান্টাম জগৎ/আপেক্ষিকতা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৪৯৩
|-
|| ৯৫ || [[কোয়ান্টাম জগৎ/পরমাণু]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ৮২৯
|-
|| ৯৬ || [[তড়িৎচৌম্বকীয় বিকিরণ/অবলোহিত রশ্মি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১২৩
|-
|| ৯৭ || [[তড়িৎচৌম্বকীয় বিকিরণ/পরিমাপের এককসমূহ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩১০
|-
|| ৯৮ || [[তড়িৎচৌম্বকীয় বিকিরণ/বেতার তরঙ্গ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৪১০
|-
|| ৯৯ || [[তড়িৎচৌম্বকীয় বিকিরণ/বর্ণালীর ব্যান্ডসমূহ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৮৮
|-
|| ১০০ || [[তড়িৎচৌম্বকীয় বিকিরণ/ভূমিকা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৩০
|-
|| ১০১ || [[তড়িৎচৌম্বকীয় বিকিরণ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৬
|-
|| ১০২ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিংড়ি-মুগডালের খিচুড়ি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩২৮
|-
|| ১০৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:দই বড়া]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৪২
|-
|| ১০৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:ডিমের স্যান্ডউইচ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২০৮
|-
|| ১০৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:কাঁচা আম ভর্তা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৯৩
|-
|| ১০৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:লাল শাক ভাজি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২১৮
|-
|| ১০৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:মাছের কোপ্তা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩০৪
|-
|| ১০৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:সাদা পোলাও]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২২৮
|-
|| ১০৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:ডালের বড়া]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২০৭
|-
|| ১১০ || [[রন্ধনপ্রণালী:দুধ পিঠা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৫৬৯
|-
|| ১১১ || [[রন্ধনপ্রণালী:পুঁই শাক]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৪৪১
|-
|| ১১২ || [[রন্ধনপ্রণালী:নেহারি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৬৪৪
|-
|| ১১৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:কাঁচা কলা ভাজি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৫৫
|-
|| ১১৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:কচুশাক]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৫২৯
|-
|| ১১৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:কলমি শাক]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩১৮
|-
|| ১১৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:লাল শাক]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৫৩
|-
|| ১১৭ || [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/গতিশক্তি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১১২
|-
|| ১১৮ || [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/তরল]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ২৯০
|-
|| ১১৯ || [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/বৃত্তাকার গতি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৩১
|-
|| ১২০ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/কম্পাইলার ডিরেক্টিভ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৪৫৭
|-
|| ১২১ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/নেস্টেড লুপ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৬২৬
|-
|| ১২২ || [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/পদার্থবিজ্ঞানের ধ্রুবক]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৪৫
|-
|| ১২৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিংড়ি ভাজা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৮৪
|-
|| ১২৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:ডিমের ঝোল]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৯৮
|-
|| ১২৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিকেন সালাদ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২০৬
|-
|| ১২৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:ডিম সালাদ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৬০
|-
|| ১২৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:মাছের চপ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৫৯
|-
|| ১২৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:ডিম স্যুপ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৪৬
|-
|| ১২৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:সাদা সেমাই]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৬২
|-
|| ১৩০ || [[রন্ধনপ্রণালী:বিফ বার্গার]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৮৪
|-
|| ১৩১ || [[রন্ধনপ্রণালী:সবজি পরোটা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩১৮
|-
|| ১৩২ || [[রন্ধনপ্রণালী:টমেটো ভর্তা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৯৯
|-
|| ১৩৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:সবজি চপ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩০০
|-
|| ১৩৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:দুধ চিঁড়া]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৪৭
|-
|| ১৩৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:ডিম কারি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৫০
|-
|| ১৩৬ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/এল-ভ্যালু এবং আর-ভ্যালু]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৪৫৬
|-
|| ১৩৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:বুটের ঘুগনি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩২৪
|-
|| ১৩৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:মোগলাই পরোটা]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৫৭৪
|-
|| ১৩৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:বোয়াল মাছের ঝোল]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৩৬
|-
|| ১৪০ || [[রন্ধনপ্রণালী:মাগুর মাছের কালিয়া]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৮৭
|-
|| ১৪১ || [[রন্ধনপ্রণালী:রুই মাছের কালিয়া]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৪৭
|-
|| ১৪২ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/টাইপডেফ - একটি উপনাম]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৪৬
|-
|| ১৪৩ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/স্ট্রিং এবং ফাইল]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ১৯১
|-
|| ১৪৪ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/স্ট্রিং ফাংশন]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৬৭
|-
|| ১৪৫ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/স্ট্রিং ফরম্যাটিং]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৯২
|-
|| ১৪৬ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/সুইফট স্ট্রিং উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৪৭০
|-
|| ১৪৭ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/জাভাস্ক্রিপ্ট স্ট্রিং উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৪০১
|-
|| ১৪৮ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/জাভা স্ট্রিং উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৪৪৪
|-
|| ১৪৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:তেলাপিয়া মাছের ভর্তা]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২৪১
|-
|| ১৫০ || [[রন্ধনপ্রণালী:কাঠালের বিচির চচ্চড়ি]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৩৮
|-
|| ১৫১ || [[রন্ধনপ্রণালী:আমড়ার টক]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৩৩
|-
|| ১৫২ || [[রন্ধনপ্রণালী:আলু পুরি]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২৪৯
|-
|| ১৫৩ || [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/কাজ]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ৩৫২
|-
|| ১৫৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:পুরি]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ৩৫৮
|-
|| ১৫৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:পুঁটি মাছ ভাজা]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ১৯৭
|-
|| ১৫৬ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/অ্যারের সাহায্যে গণিত পরিসংখ্যান]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ৩১৯
|-
|| ১৫৭ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/লুপ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৪৪
|-
|| ১৫৮ || [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/স্থির তরঙ্গ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৩৯
|-
|| ১৫৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:লাল চা]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ১৯৭
|-
|| ১৬০ || [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/ইলেকট্রনিক্স]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৭৮৪
|-
|| ১৬১ || [[রন্ধনপ্রণালী:কাঁচা মরিচ ভর্তা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩০৪
|-
|| ১৬২ || [[রন্ধনপ্রণালী:পেঁয়াজ ভর্তা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৮৭
|-
|| ১৬৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:শুকনা মরিচ ভর্তা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৫০
|-
|| ১৬৪ || [[সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/খেলার সমাজবিজ্ঞান]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২৩১
|-
|| ১৬৫ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/ইটারেশন কন্ট্রোল স্ট্রাকচার]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৯৭
|-
|| ১৬৬ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/সুইফট ফাংশন উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৩০
|-
|| ১৬৭ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/স্থির এবং ডাইনামিক অ্যারে]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৫৯
|-
|| ১৬৮ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/অ্যারে সদস্য প্রদর্শন]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ৩৯৫
|-
|| ১৬৯ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/সুইফট শর্তের উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৩৫৮
|-
|| ১৭০ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/ফাংশন]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ১২৭
|-
|| ১৭১ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/ASCII ক্যারেক্টার সেট]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৯৮
|-
|| ১৭২ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/নিজের জ্ঞান যাচাইয়ের উত্তরমালা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৬৫
|-
|মোট পাতা:||১৭২||মোট শব্দ:||৭২১৩৩
|}
== [[বাবহারকারী:Md Mobashir Hossain|Md Mobashir Hossain]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|| ১ || [[অতীন্দ্রিয়বাদ/প্রার্থনা]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ১৬৪৫
|-
|| ২ || [[রন্ধনপ্রণালী:মাকুন্দা পিঠা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৬৮
|-
|| ৩ || [[উইকিশৈশব:গ্ৰাফিতিতে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান/ওই মামা না প্লিজ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১০৯
|-
|| ৪ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/ব্যবসায়িক যোগাযোগ/শুরু]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৩২৩
|-
|| ৫ || [[উইকিশৈশব:গ্ৰাফিতিতে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান/কারার ঐ লৌহকপাট]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৩৬
|-
|| ৬ || [[কোয়ান্টাম জগৎ/প্রভাব ও প্রয়োগ/একটি কোয়ান্টাম বাউন্সিং বল]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২৩৬
|-
|| ৭ || [[চিন্তন ও নির্দেশনা/ভূমিকা]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ৩১৯
|-
|| ৮ || [[কোয়ান্টাম জগৎ/ফেইনম্যান রুট/শেষে শ্রোডিনগার]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২৪৯
|-
|| ৯ || [[উইকিশৈশব:গ্ৰাফিতিতে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান/জেন জি]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৪৭
|-
|| ১০ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/পরিচিতি]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৫৪
|-
|| ১১ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/ভূমিকা]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৯২
|-
|| ১২ || [[উইকিশৈশব:গ্ৰাফিতিতে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান/পানি লাগবে]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৫৫
|-
|| ১৩ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/ঘ্রাণতন্ত্র/ফেরোমোন ও ভোমেরোনাসাল তন্ত্র]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩৬১
|-
|| ১৪ || [[কোয়ান্টাম জগৎ/সম্ভাব্যতা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৭৬৭
|-
|| ১৫ || [[কোয়ান্টাম জগৎ/অনির্দিষ্ট সমাকলন]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৫৯
|-
|| ১৬ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/শব্দীয় লেভিটেশন]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৬১২
|-
|| ১৭ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/বীমফর্মিং]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৩৫
|-
|| ১৮ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/শব্দীয় গিটার]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ৩৮৬
|-
|| ১৯ || [[কোয়ান্টাম জগৎ/ক্যালকুলাস]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৪০১
|-
|| ২০ || [[রন্ধনপ্রণালী:শিং মাছের ঝোল]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২২০
|-
|| ২১ || [[সাধারণ বলবিজ্ঞান/কঠিন বস্তু]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২১৬
|-
|| ২২ || [[রন্ধনপ্রণালী:ঢাকাই পরোটা]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২৮০
|-
|| ২৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:ফালুদা]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২৫৪
|-
|| ২৪ || [[সাধারণ বলবিজ্ঞান/আংশিক উৎপন্ন]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৩১৪
|-
|| ২৫ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/জাভাস্ক্রিপ্ট ভেরিয়েবল উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৫০৬
|-
|| ২৬ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/পাইথন ভেরিয়েবল উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৯৬
|-
|| ২৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:টাকি মাছ ভুনা]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২২৮
|-
|| ২৮ || [[সাধারণ বলবিজ্ঞান/স্থিতিবিদ্যা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৭০
|-
|| ২৯ || [[সাধারণ বলবিজ্ঞান/গতিবিদ্যার মৌলিক নীতিমালা]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৬৫১
|-
|| ৩০ || [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/শব্দ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৪৯০
|-
|| ৩১ || [[রন্ধনপ্রণালী:বিফ নুডলস]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৩৮
|-
|| ৩২ || [[মানব শারীরতত্ত্ব/রক্ত শারীরতত্ত্ব]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৪৫৪০
|-
|| ৩৩ || [[সাধারণ বলবিজ্ঞান/নিউটনের নিয়মের বিকল্প রূপ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৬২৯
|-
|| ৩৪ || [[সাধারণ বলবিজ্ঞান/নিউটনের নিয়ম ব্যবহার করে বিশ্লেষণ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৩২
|-
|| ৩৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:বিফ ভুনা]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৫৭
|-
|| ৩৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিকেন উইংস]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৯৭
|-
|| ৩৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিকেন ফ্রাই]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৩৮
|-
|| ৩৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:ডিমের পুরি]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ২৩৪
|-
|| ৩৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:লাচ্ছা সেমাই]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২০২
|-
|| ৪০ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিকেন নাগেট]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২১০
|-
|| ৪১ || [[রন্ধনপ্রণালী:পায়া]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৩২
|-
|| ৪২ || [[রন্ধনপ্রণালী:শিক কাবাব]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৬৬
|-
|| ৪৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:সর্ষে ইলিশ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৮৯
|-
|| ৪৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:বিফ রোল]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ১২৬
|-
|| ৪৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:রোল]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ১২৭
|-
|| ৪৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিকেন রোল]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৬৫
|-
|| ৪৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:সিঙ্গারা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৯৮
|-
|| ৪৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:লুচি]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৩৯
|-
|| ৪৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:ইলিশ ভাজা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১২২
|-
|| ৫০ || [[রন্ধনপ্রণালী:বেগুনি]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৬৭
|-
|| ৫১ || [[রন্ধনপ্রণালী:বিফ তন্দুরি]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৯৬
|-
|| ৫২ || [[রন্ধনপ্রণালী:মুরগির তন্দুরি]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৯৪
|-
|| ৫৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:ডিম ভুনা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৭৮
|-
|| ৫৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:ডিম পোচ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৪৯
|-
|| ৫৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:তেহারি]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২২২
|-
|| ৫৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:পুঁই শাক চচ্চড়ি]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৯৮
|-
|| ৫৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:পেঁয়াজু]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২০৫
|-
|| ৫৮ || [[লুইস ক্যারল/থ্রু দ্য লুকিং-গ্লাস]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২৮২
|-
|| ৫৯ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/সি++ অবজেক্ট উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২২৪
|-
|| ৬০ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/সি++ পরিচিতি উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২১২
|-
|| ৬১ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/জাভাস্ক্রিপ্ট লুপ উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২৯৬
|-
|| ৬২ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/পাইথন লুপ উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৯৩
|-
|| ৬৩ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/সি-শার্প লুপ উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২৪০
|-
|| ৬৪ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/সি++ লুপ উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২৭৯
|-
|| ৬৫ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/সি++ শর্তের উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৩১৩
|-
|| ৬৬ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/সি++ ফাংশন উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৩৩
|-
|| ৬৭ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/সি-শার্প ফাংশন উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১২৯
|-
|| ৬৮ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/পাইথন ফাংশন উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১১৯
|-
|| ৬৯ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/জাভা ফাংশন উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১২১
|-
|| ৭০ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/জাভাস্ক্রিপ্ট ফাংশন উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৮৫
|-
|| ৭১ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/পাইথন শর্তের উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৫৮
|-
|| ৭২ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/জাভাস্ক্রিপ্ট শর্তের উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ৩৪৭
|-
|| ৭৩ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/সি-শার্প শর্তের উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ২৮৪
|-
|| ৭৪ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/জাভা শর্তের উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ২৯২
|-
|| ৭৫ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৯৩
|-
|| ৭৬ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/সি-শার্প অ্যারে উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ৪০৪
|-
|| ৭৭ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/সি++ অ্যারে উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ৪৯৯
|-
|| ৭৮ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/জাভাস্ক্রিপ্ট অ্যারে উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:Maruf|Maruf]] || ৪২৬
|-
|| ৭৯ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/জাভা অ্যারে উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:Maruf|Maruf]] || ৩৯৫
|-
|| ৮০ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/পাইথন অ্যারে উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:Maruf|Maruf]] || ২৮৭
|-
|| ৮১ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/সি++ অপারেটরের সংক্ষিপ্ত অগ্রাধিকার তালিকা]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৪৮
|-
|মোট পাতা:||৮১||মোট শব্দ:||২৮১৮৮
|}
== [[বাবহারকারী:M.Asaduzzaman sahed|M.Asaduzzaman sahed]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|| ১ || [[সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/সমাজায়ন]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৫২৩
|-
|| ২ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/অন্বেষণ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৩৪৬
|-
|| ৩ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/কেনেডি এবং জনসন]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৫৭৯০
|-
|| ৪ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/ফোর্ড কার্টার রিগ্যান]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৫২২৭
|-
|| ৫ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/পশ্চিমমুখী সম্প্রসারণ এবং প্রকাশ্য নিয়তি]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৪০৩৭
|-
|| ৬ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/উন্নয়নসমূহ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২১৭৩
|-
|| ৭ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/প্রগতিশীল যুগ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২৬০৮
|-
|| ৮ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও পারমাণবিক যুগের উত্থান]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৪৬০২
|-
|| ৯ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/নিক্সন এবং ইন্দোচীন]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৪০০৯
|-
|| ১০ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/আমেরিকান বিপ্লব]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩২৩৪
|-
|| ১১ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/যুদ্ধ, জাতীয়তাবাদ ও বিভাজন]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৮২৭৯
|-
|| ১২ || [[মানব শারীরতত্ত্ব/অনাক্রম্যতন্ত্র]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৮৮৩২
|-
|| ১৩ || [[সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/রাজনীতি]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৩৩৬৮
|-
|| ১৪ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/পতঙ্গ/ঘ্রাণতন্ত্র]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৭২৩
|-
|| ১৫ || [[সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/প্রাতিষ্ঠানিক আচরণ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৯৭৪৯
|-
|| ১৬ || [[সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/গণমাধ্যম]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৬৫৮
|-
|| ১৭ || [[সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/প্রত্যপথগামিতা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৮৪৪
|-
|| ১৮ || [[সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/সামাজিক মনোবিজ্ঞান]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৯৪১০
|-
|| ১৯ || [[মানব শারীরতত্ত্ব/অনুভূতি]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৮৩০৮
|-
|| ২০ || [[সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/সামাজিক কাঠামো]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১০০৫
|-
|| ২১ || [[সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/স্তরীকরণ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৪১০২
|-
|| ২২ || [[সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/সমাজবিজ্ঞানের তত্ত্ব]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৪৭১৫
|-
|| ২৩ || [[সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/মানব বাস্তুসংস্থান ও পরিবেশ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৬০৩
|-
|| ২৪ || [[সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/গোষ্ঠী]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৬৫১৪
|-
|| ২৫ || [[লুইস ক্যারল/ভূমিকা]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ১৭৩
|-
|| ২৬ || [[লুইস ক্যারল/জ্যামিতি এবং যুক্তি]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ১৩৩
|-
|| ২৭ || [[লুইস ক্যারল/প্রাথমিক জীবন]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৪২২
|-
|| ২৮ || [[লুইস ক্যারল/রাজবংশ থেকে আগত]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২৬৩
|-
|| ২৯ || [[লুইস ক্যারল/বংশপরিচয়]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ১৫০১
|-
|| ৩০ || [[লুইস ক্যারল/অ্যালিস ইন ওয়ান্ডারল্যান্ড]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৪৬৪
|-
|| ৩১ || [[লুইস ক্যারল/শিশু বন্ধু ও প্রাপ্তবয়স্ক বন্ধু]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৯০১
|-
|মোট পাতা:||৩১||মোট শব্দ:||১০৮৫১৬
|}
== [[বাবহারকারী:Nettime Sujata|Nettime Sujata]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|| ১ || [[জাপানের ইতিহাস: পুরাণ থেকে জাতিসত্ত্বা/ভূমিকা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩০০৯
|-
|| ২ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/নৈতিকতা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৩৫১
|-
|| ৩ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/প্রশ্নোত্তর]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ১৭১৮
|-
|| ৪ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/শব্দীয় মাইক্রো পাম্প]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৯৫৩
|-
|| ৫ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/শব্দীয় গিটার কীভাবে কাজ করে]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৮৪৫
|-
|| ৬ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/শ্রবণ সুরক্ষা]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১১৮৪
|-
|| ৭ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/মাইক্রোফোন ডিজাইন ও পরিচালনা]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৮৯০
|-
|মোট পাতা:||৭||মোট শব্দ:||১১৯৫০
|}
== [[বাবহারকারী:Md.Farhan Mahmud|Md.Farhan Mahmud]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|| ১ || [[কোয়ান্টাম জগৎ/খেলা]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২১৫
|-
|মোট পাতা:||১||মোট শব্দ:||২১৫
|}
== [[বাবহারকারী:Salil Kumar Mukherjee|Salil Kumar Mukherjee]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|| ১ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/সূচিপত্র]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৪৭৫
|-
|| ২ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/মূল বিষয়সূচি]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩৯৪
|-
|| ৩ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/উৎস নথিভুক্তকরণ/MLA শৈলী পাদটীকা ও অন্তটীকা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩৬১
|-
|| ৪ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/উৎস নথিভুক্তকরণ/MLA শৈলী সংক্ষিপ্ত উদ্ধৃতি]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৭৩
|-
|| ৫ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/উৎস নথিভুক্তকরণ/APA শৈলী পাঠ্যভিত্তিক উদ্ধৃতি]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৬৪
|-
|| ৬ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/উৎস নথিভুক্তকরণ/পাঠ্যের মধ্যে উদ্ধৃতির অবস্থান]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৪২
|-
|| ৭ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/উৎস নথিভুক্তকরণ/উদ্ধৃতির মৌলিক নির্দেশিকা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৩০
|-
|| ৮ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/উৎস নথিভুক্তকরণ/সঠিক নথিভুক্তি নির্বাচন]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১২৪
|-
|| ৯ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৩৮
|-
|| ১০ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/উৎস নথিভুক্তকরণ/উৎস নথিভুক্তির কারণ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৭৮
|-
|| ১১ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/গ্রন্থের ইতিহাস]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩৯৫
|-
|| ১২ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/প্রাথমিক ধারণা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৭৩
|-
|| ১৩ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/উৎসর্গ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৪১
|-
|| ১৪ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/হাইড্রোলিক সিস্টেমে কোলাহল]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৭০০
|-
|| ১৫ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/অরৈখিক সিস্টেম]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৯০
|-
|মোট পাতা:||১৫||মোট শব্দ:||৫২৭৮
|}
== [[বাবহারকারী:Farihat Mahirah|Farihat Mahirah]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|| ১ || [[জাপানের ইতিহাস: পুরাণ থেকে জাতিসত্ত্বা/সামরিকতন্ত্রের উত্থান]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৩৭১
|-
|মোট পাতা:||১||মোট শব্দ:||৩৭১
|}
== [[বাবহারকারী:নিয়াজ ইসলাম|নিয়াজ ইসলাম]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|| ১ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/যুক্তিবিদ্যা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩২৬
|-
|| ২ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/যুক্তিবিদ্যা/ন্যান্ড ও নর]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ১৬৩
|-
|| ৩ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/সম্পাদনার জন্য উপকরণ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১২০
|-
|| ৪ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/পাতা উল্টানোর নির্দেশনা]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৩৫
|-
|| ৫ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/উৎস নথিভুক্তকরণ/MLA শৈলী]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৫৪
|-
|| ৬ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/উৎস নথিভুক্তকরণ/APA শৈলী]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১১৭
|-
|| ৭ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/উৎস নথিভুক্তকরণ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৬০
|-
|| ৮ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/প্রচ্ছদ]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ১৪০
|-
|| ৯ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/লেখক/MK]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৪৮
|-
|| ১০ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/যুক্তিবিদ্যা/গ্রন্থপঞ্জি]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৮৩
|-
|| ১১ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/যুক্তিবাদ]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ১১২
|-
|| ১২ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/দর্শন করা বলতে কী বোঝায়?]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১০০
|-
|| ১৩ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/জেন বৌদ্ধধর্ম]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ১৭৬
|-
|| ১৪ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/মানক ফর্ম]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৮০৭
|-
|| ১৫ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/লেখকবৃন্দ]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৩৮
|-
|| ১৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:মসুর ডাল]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২২৪
|-
|| ১৭ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/সূচীপত্র]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৯৬
|-
|| ১৮ || [[সাধারণ বলবিজ্ঞান/সূচক সংজ্ঞা]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ১৩২
|-
|| ১৯ || [[সাধারণ বলবিজ্ঞান/বহু কণার গতি]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ১০২
|-
|| ২০ || [[সাধারণ বলবিজ্ঞান/মাখের নীতি]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ১৯
|-
|| ২১ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/প্রচ্ছদ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৪
|-
|| ২২ || [[সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/সামরিক বাহিনী]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১২০
|-
|| ২৩ || [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ৯২
|-
|| ২৪ || [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/পদার্থবিজ্ঞানের উদ্দেশ্য]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৬
|-
|| ২৫ || [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/উদ্দেশ্য]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৬৩
|-
|| ২৬ || [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/ঘর্ষণ সহগ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১০১
|-
|| ২৭ || [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/ভরকেন্দ্র]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৪
|-
|| ২৮ || [[লুইস ক্যারল]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৪৫
|-
|| ২৯ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/ভূমিকা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৮২
|-
|| ৩০ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/শব্দকোষ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২১
|-
|| ৩১ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/হৃদযন্ত্র]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ২৫
|-
|| ৩২ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/স্বীকৃতি]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৩৬
|-
|| ৩৩ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৭২
|-
|| ৩৪ || [[তত্ত্ব শিখন/প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষণ: আন্তঃপ্রতিষ্ঠানিক]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৪৭৩
|-
|| ৩৫ || [[তত্ত্ব শিখন]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৯০
|-
|মোট পাতা:||৩৫||মোট শব্দ:||৫৬৪৬
|}
== [[বাবহারকারী:Parishexplorer|Parishexplorer]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|মোট পাতা:||০||মোট শব্দ:||০
|}
== [[বাবহারকারী:Ridnin Riz|Ridnin Riz]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|| ১ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/উৎস নথিভুক্তকরণ/MLA শৈলী সারণি ও চিত্র]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৪১৮
|-
|মোট পাতা:||১||মোট শব্দ:||৪১৮
|}
== [[বাবহারকারী:Sheikh Mehedi Hassan|Sheikh Mehedi Hassan]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|| ১ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/যুক্তিবিদ্যা/ভূমিকা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৭৫১
|-
|| ২ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/আধ্যাত্মিক অভিজ্ঞতা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩৪৬
|-
|| ৩ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/জ্ঞানতত্ত্ব কী?]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৪৪১
|-
|| ৪ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/যুক্তিবিদ্যা/ত্রুটি নির্ণয়]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৮০
|-
|| ৫ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/স্বাধীনতাবাদ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২২৭
|-
|| ৬ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/অলঙ্করণ/অলঙ্করণাল কাঠামো]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৬৩৪
|-
|| ৭ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/অলঙ্করণ/লেখক]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ১৩৪২
|-
|| ৮ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/নির্দেশাবলি/চিত্র]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৫২৭
|-
|| ৯ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/সম্পদ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৭৫৮
|-
|| ১০ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/অলঙ্করণ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১০৩৯
|-
|| ১১ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/অলঙ্করণ/শ্রোতা]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৫৬৬
|-
|| ১২ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/অলঙ্করণ/প্রসঙ্গ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৪৭০
|-
|| ১৩ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/অলঙ্করণ/বিষয়]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩৩৮
|-
|| ১৪ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/উৎস নথিভুক্তকরণ/APA শৈলী রেফারেন্স তালিকা]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৬১৯
|-
|| ১৫ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/ট্রান্সফার ফাংশন]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৬১৮
|-
|| ১৬ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/অলঙ্করণ/উদ্দেশ্য]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৯৬৭
|-
|| ১৭ || [[সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/সমাজবিজ্ঞানীয় পদ্ধতি]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ৪৭৩৪
|-
|| ১৮ || [[সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/বিশিষ্ট সমাজবিজ্ঞানী]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২০১
|-
|| ১৯ || [[মানব শারীরতত্ত্ব/নারী প্রজননতন্ত্র]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৭৫৫৪
|-
|| ২০ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/বেস রিফ্লেক্স এনক্লোজার ডিজাইন]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ১৪৫০
|-
|| ২১ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/কি-ওয়ার্ড]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৩৪
|-
|| ২২ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকার/মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টীকাযুক্ত সংবিধান]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ৫৮৭৮
|-
|| ২৩ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/ঔপনিবেশিক ধর্ম]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৪৪৩
|-
|| ২৪ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/তৃতীয় পক্ষ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৭৫২
|-
|| ২৫ || [[আইবি আমেরিকা ইতিহাস]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ১৩৪৪
|-
|| ২৬ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/ক্লারিনেটের শব্দবিজ্ঞান]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৭৪৬
|-
|| ২৭ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/ম্যাটল্যাব]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৪০৬
|-
|| ২৮ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/শক-তরঙ্গের গুণগত বর্ণনা]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৩৯০
|-
|| ২৯ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/বহিরাঙ্গনে শব্দ সঞ্চালন]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২০৯১
|-
|| ৩০ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/রূপান্তর পরিশিষ্ট]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৭২৭
|-
|| ৩১ || [[কোয়ান্টাম জগৎ/ফেইনম্যান রুট/কোয়ান্টাম থেকে ধ্রুপদী]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২১৫৮
|-
|| ৩২ || [[কোয়ান্টাম জগৎ/আপেক্ষিকতা/লরেন্জ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৭৬৯
|-
|| ৩৩ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/জুরি পরীক্ষা]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৮১৬
|-
|| ৩৪ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/শব্দচালিত সিস্টেম]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৬৭৮
|-
|| ৩৫ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/নাইকুইস্ট স্থিতিশীলতা মানদণ্ড]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১১৬৫
|-
|| ৩৬ || [[কোয়ান্টাম জগৎ/প্রভাব ও প্রয়োগ/পর্যবেক্ষণযোগ্য ও অপারেটর]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৪৮৯
|-
|| ৩৭ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/গৃহযুদ্ধ]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৭৯৪৩
|-
|| ৩৮ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/আর্থ্রোপড/ম্যান্টিস চিংড়ি]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ৭৯৩
|-
|| ৩৯ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/পিজোইলেকট্রিক শব্দ সংবেদক]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১০১৩
|-
|| ৪০ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/সিলড বক্স সাবউফার ডিজাইন]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৮৪৯
|-
|| ৪১ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/শব্দকোষ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২২২৩
|-
|| ৪২ || [[কানাডায় শরনার্থী প্রক্রিয়া/এই লেখার সম্পর্কে]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১১৮৯
|-
|| ৪৩ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৮৬০
|-
|| ৪৪ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/পেশী]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৯৪৭
|-
|| ৪৫ || [[সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/সমাজবিজ্ঞানের ভিডিও]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ৬৪২
|-
|| ৪৬ || [[সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/কোর্স গ্রহণ]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২০
|-
|| ৪৭ || [[অতীন্দ্রিয়বাদ/আলোচনা]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৫৭১৯
|-
|| ৪৮ || [[সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/প্রযুক্তি, ইন্টারনেট ও ভার্চুয়াল জগৎ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৬৮৭
|-
|| ৪৯ || [[সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/বার্ধক্য]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২৬৫০
|-
|| ৫০ || [[রন্ধনপ্রণালী:বুটের ডাল]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২১৬
|-
|| ৫১ || [[রন্ধনপ্রণালী:মিষ্টি কুমড়ো ভাজি]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ২২৪
|-
|| ৫২ || [[রন্ধনপ্রণালী:শিমের দানা ভুনা]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ২৬০
|-
|| ৫৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:ঢেঁড়স ভাজি]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ২১৭
|-
|| ৫৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:পালং শাক ভাজি]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ২২৩
|-
|| ৫৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:সবজি কারি]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ২৯২
|-
|| ৫৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:মাছের বড়া]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ২৮৬
|-
|| ৫৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:টমেটো সালাদ]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২০৬
|-
|| ৫৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:শসার সালাদ]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২০৫
|-
|| ৫৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:টক দই]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ১৯৩
|-
|| ৬০ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিকেন কোপ্তা]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৯৪
|-
|| ৬১ || [[রন্ধনপ্রণালী:ডিম রোল]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৫৭
|-
|| ৬২ || [[রন্ধনপ্রণালী:গুড়ের পায়েস]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২২৭
|-
|| ৬৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:আনারসের চাটনি]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২২৭
|-
|| ৬৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:সেমাই পায়েস]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২০৮
|-
|| ৬৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:কুলের আচার]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৯৯
|-
|মোট পাতা:||৬৫||মোট শব্দ:||৭৬৩১৭
|}
== [[বাবহারকারী:Anik Kanti Dey|Anik Kanti Dey]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|| ১ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/মূল স্থান]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ৭৯৪
|-
|| ২ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/নিয়ন্ত্রক ও ক্ষতিপূরণকারী]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৭৬২
|-
|| ৩ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/কম্পিউটার মডেল/দৃষ্টিগত তথ্য প্রক্রিয়াজাতকরণের বর্ণনামূলক সিমুলেশন]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১২৪৪
|-
|| ৪ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/মানব কণ্ঠস্বর উৎপাদন]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ১০৫৫
|-
|| ৫ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/ভূমিকা]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ৯৫৯
|-
|| ৬ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/সাধারণ বৈশিষ্ট্য/অ্যাসোসিয়েশন কর্টেক্স]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৫০৪
|-
|| ৭ || [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/ভেক্টর ও স্কেলার]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৬৯৪
|-
|| ৮ || [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/তরঙ্গের অতিঅংশ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৫০৩
|-
|| ৯ || [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/ঘূর্ণন বল]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ৪৩৮
|-
|| ১০ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/নিয়ন্ত্রণযোগ্যতা ও পর্যবেক্ষণযোগ্যতা]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৭৩৮
|-
|| ১১ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/ডিজিটাল স্টেট স্পেস]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৭৩৮
|-
|| ১২ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/ডিজিটাল ও এনালগ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৭৮৭
|-
|মোট পাতা:||১২||মোট শব্দ:||৯২১৬
|}
== [[বাবহারকারী:Prerana Hatua|Prerana Hatua]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|| ১ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/সিস্টেম নির্দিষ্টকরণ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৩২
|-
|মোট পাতা:||১||মোট শব্দ:||১৩২
|}
== [[বাবহারকারী:Sagar Mahmud 1122|Sagar Mahmud 1122]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|| ১ || [[রাজনৈতিক যোগাযোগের উপাদান/প্রচলিত মিডিয়া নির্দেশিকা/সংবাদ বিজ্ঞপ্তি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৬২৮
|-
|| ২ || [[রাজনৈতিক যোগাযোগের উপাদান/প্রচলিত মিডিয়া নির্দেশিকা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৪
|-
|| ৩ || [[রাজনৈতিক যোগাযোগের উপাদান/মৌখিক বার্তার নির্দেশিকা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৪
|-
|| ৪ || [[রাজনৈতিক যোগাযোগের উপাদান/সাধারণ নির্দেশিকা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩২
|-
|| ৫ || [[উইকিশৈশব:কণা/প্রসারণ না সংকোচন?]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৯৫
|-
|মোট পাতা:||৫||মোট শব্দ:||১০৯৩
|}
== [[বাবহারকারী:রানা123|রানা123]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|| ১ || [[উইকিশৈশব:কণা/সারাংশ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৫৯৪
|-
|| ২ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/সমতলীয় তরঙ্গের প্রতিফলন, সঞ্চালন ও প্রতিসরণ]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৮৯
|-
|| ৩ || [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/ভরবেগ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৮২
|-
|| ৪ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/উপপ্রস্তাবনা]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৫৪
|-
|| ৫ || [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/অপটিক্স]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ৪৪৩
|-
|মোট পাতা:||৫||মোট শব্দ:||১৮৬২
|}
== [[বাবহারকারী:Thajib Hossain|Thajib Hossain]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|| ১ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/অনুশীলন: পয়েন্টার]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৪০২
|-
|| ২ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/প্রচলিত নিয়ন্ত্রণ]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৩১৭
|-
|মোট পাতা:||২||মোট শব্দ:||৭১৯
|}
== [[বাবহারকারী:Yasser Raihan|Yasser Raihan]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|| ১ || [[উইকিশৈশব:কণা/ব্রাউনীয় গতি]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩৫২
|-
|মোট পাতা:||১||মোট শব্দ:||৩৫২
|}
== [[বাবহারকারী:MD Sahib|MD Sahib]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|| ১ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/সরল দোলন]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৮৩
|-
|মোট পাতা:||১||মোট শব্দ:||৩৮৩
|}
== [[বাবহারকারী:Sa'Adat-E-Zubaire|Sa'Adat-E-Zubaire]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|| ১ || [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/ক্ষেত্র]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২৪৩
|-
|| ২ || [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/অরাজকতা তত্ত্ব]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২১৮
|-
|| ৩ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/একাডেমিক বা শিক্ষাগত অসততা]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১২৭৯
|-
|মোট পাতা:||৩||মোট শব্দ:||১৭৪০
|}
== [[বাবহারকারী:Md Rashidul Hasan Biplob|Md Rashidul Hasan Biplob]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|| ১ || [[সম্পর্ক/মানব মস্তিষ্কের বিকাশ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৯৩০
|-
|| ২ || [[সম্পর্ক/অ্যাগাপে]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৮৯
|-
|| ৩ || [[তড়িৎ ও চুম্বক/স্থির তড়িৎ/পটেনশিয়াল গ্রাডিয়েন্ট]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৪০৪
|-
|| ৪ || [[তড়িৎ ও চুম্বক/স্থির তড়িৎ/একাধিক আধানসৃষ্ট বিভব]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ১৪৮
|-
|| ৫ || [[তড়িৎ ও চুম্বক/স্থির তড়িৎ/একটি আধানের কুলম্ব বিভব]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ১৬১
|-
|| ৬ || [[তড়িৎ ও চুম্বক/স্থির তড়িৎ/ক্যাপাসিটর]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৭০
|-
|| ৭ || [[তড়িৎ ও চুম্বক/স্থির তড়িৎ/পরিবাহীতে স্থির তড়িৎ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩৫০
|-
|| ৮ || [[তড়িৎ ও চুম্বক/চল তড়িৎ/ব্যাটারি ও জেনারেটর]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৪৩
|-
|| ৯ || [[তড়িৎ ও চুম্বক/চুম্বকত্ব/চৌম্বকের তড়িচ্চালক শক্তি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৪৪১
|-
|| ১০ || [[তড়িৎ ও চুম্বক/চুম্বকত্ব/চুম্বক]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ২৪৯
|-
|| ১১ || [[রন্ধনপ্রণালী:মুড়িঘন্ট]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৯১
|-
|| ১২ || [[রন্ধনপ্রণালী:লালমোহন]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৫৬৪
|-
|| ১৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:নবরত্ন কোরমা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৪৮৭
|-
|| ১৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:দই চিংড়ি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৪৫৮
|-
|| ১৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:খাসির রেজালা]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৮১
|-
|| ১৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:কালোজাম]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ৮২৪
|-
|| ১৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:মুরগির রোস্ট]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৪০২
|-
|| ১৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:পান্তা ভাত]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৩২৭
|-
|| ১৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:দই চিঁড়া]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৩৮
|-
|| ২০ || [[রন্ধনপ্রণালী:শুঁটকি ভর্তা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১২২
|-
|মোট পাতা:||২০||মোট শব্দ:||৮৩৭৯
|}
== [[বাবহারকারী:T. Fhyym|T. Fhyym]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|| ১ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/শর্তাধীন অপারেটর]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ৭১০
|-
|মোট পাতা:||১||মোট শব্দ:||৭১০
|}
== [[বাবহারকারী:Najmol Hasan|Najmol Hasan]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|মোট পাতা:||০||মোট শব্দ:||০
|}
== [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|| ১ || [[উইকিশৈশব:গ্ৰাফিতিতে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান/আবু সাইদ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৪৭
|-
|| ২ || [[উইকিশৈশব:গ্ৰাফিতিতে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৫৮
|-
|মোট পাতা:||২||মোট শব্দ:||২০৫
|}
== [[বাবহারকারী:Ajmain Istheak|Ajmain Istheak]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|| ১ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/সিকোয়েন্স অপারেটর]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২৩৬
|-
|| ২ || [[কোয়ান্টাম জগৎ/আপেক্ষিকতা/লরেন্জ সংকোচন ও সময় সম্প্রসারণ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৫১
|-
|মোট পাতা:||২||মোট শব্দ:||৪৮৭
|}
== [[বাবহারকারী:Towfik Ahmed 07|Towfik Ahmed 07]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|| ১ || [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/তরঙ্গ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৫২৩
|-
|মোট পাতা:||১||মোট শব্দ:||৫২৩
|}
== [[বাবহারকারী:Md Nasir Uddin Biplob|Md Nasir Uddin Biplob]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|| ১ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/ঘ্রাণতন্ত্র/ভূমিকা]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ১৮৩
|-
|মোট পাতা:||১||মোট শব্দ:||১৮৩
|}
== [[বাবহারকারী:Azizul Islam Abir|Azizul Islam Abir]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|| ১ || [[ঢেঁড়স ভাজি]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ১৬৯
|-
|| ২ || [[খাসির কাচ্চি বিরিয়ানি]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২২০
|-
|মোট পাতা:||২||মোট শব্দ:||৩৮৯
|}
== [[বাবহারকারী:Dr. Mosaddek Khondoker|Dr. Mosaddek Khondoker]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|| ১ || [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/রৈখিক গতি]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৯৯৯
|-
|মোট পাতা:||১||মোট শব্দ:||১৯৯৯
|}
== [[বাবহারকারী:Sheikh MD. Obaidul Hossain|Sheikh MD. Obaidul Hossain]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|| ১ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/পতঙ্গ/দৃষ্টি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১০৮৬
|-
|| ২ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/জেলিফিশ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৪৬৮
|-
|| ৩ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/দৃষ্টিতন্ত্র/পুরাতন/সংকেত প্রক্রিয়াকরণ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৭৭৩
|-
|| ৪ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/অব্যবহারে সংবেদী প্রক্রিয়াকরণের পরিবর্তন]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩২০০
|-
|মোট পাতা:||৪||মোট শব্দ:||৭৫২৭
|}
== [[বাবহারকারী:যুবায়ের হোসাইন কায়েফ|যুবায়ের হোসাইন কায়েফ]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|| ১ || [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/গ্রীক বর্ণমালা]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ৪০৪
|-
|| ২ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/সমীকরণের তালিকা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২০৩
|-
|| ৩ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/উদাহরণ/দ্বিতীয় শ্রেণীর সিস্টেম]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৩৬৩
|-
|| ৪ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/আবরণ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩৪
|-
|| ৫ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/স্নায়ুতন্ত্র/নিজের জ্ঞান যাচাইয়ের উত্তরমালা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৮২
|-
|| ৬ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/কোষ/নিজের জ্ঞান যাচাইয়ের উত্তরমালা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৫১
|-
|| ৭ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/জ্ঞানেন্দ্রিয়সমূহ/নিজের জ্ঞান যাচাইয়ের উত্তরমালা]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২৪২
|-
|| ৮ || [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/আবৃত্ত গতি]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ৬২
|-
|| ৯ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/শব্দকোষ/ড-ঢ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৭৬
|-
|| ১০ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/শ্বসনতন্ত্র/নিজের জ্ঞান যাচাইয়ের উত্তরমালা]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২৪৮
|-
|| ১১ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/পৌষ্টিকনালী ও পরিপাক/নিজের জ্ঞান যাচাইয়ের উত্তরমালা]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৩৬৮
|-
|| ১২ || [[তড়িৎচৌম্বকীয় বিকিরণ/গামা রশ্মি]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১২৪
|-
|| ১৩ || [[তড়িৎচৌম্বকীয় বিকিরণ/মাইক্রোতরঙ্গ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৯৯
|-
|| ১৪ || [[তড়িৎচৌম্বকীয় বিকিরণ/সম্পর্কসমূহ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১১৩
|-
|| ১৫ || [[তড়িৎচৌম্বকীয় বিকিরণ/দৃশ্যমান আলো]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৬৩
|-
|| ১৬ || [[তড়িৎচৌম্বকীয় বিকিরণ/রঞ্জন রশ্মি]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৩১
|-
|| ১৭ || [[মানব শারীরতত্ত্ব/অ্যাসাইনমেন্টসমূহ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৪২৫
|-
|| ১৮ || [[সাধারণ বলবিজ্ঞান/বেগ নির্ভর বল]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৫০৭
|-
|| ১৯ || [[সাধারণ বলবিজ্ঞান]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৭৬
|-
|| ২০ || [[সাধারণ বলবিজ্ঞান/কাজ ও ক্ষমতা]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৬৬৫
|-
|মোট পাতা:||২০||মোট শব্দ:||৪৬৩৬
|}
== [[বাবহারকারী:Somajyoti|Somajyoti]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|| ১ || [[তড়িতচুম্বকীয় বিকিরণ/গামা রশ্মি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১২০
|-
|| ২ || [[তড়িতচুম্বকীয় বিকিরণ/এক্স-রে]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৩৩
|-
|| ৩ || [[তড়িতচুম্বকীয় বিকিরণ/অতিবেগুনি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২২৬
|-
|| ৪ || [[তড়িতচুম্বকীয় বিকিরণ/দৃশ্যমান আলো]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৫৮
|-
|| ৫ || [[তড়িতচুম্বকীয় বিকিরণ/ইনফ্রারেড]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১২২
|-
|| ৬ || [[তড়িতচুম্বকীয় বিকিরণ/মাইক্রোওয়েভ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১১৯
|-
|| ৭ || [[তড়িতচুম্বকীয় বিকিরণ/রেডিও]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৪০১
|-
|| ৮ || [[তড়িতচুম্বকীয় বিকিরণ/বর্ণালীর ব্যান্ডসমূহ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৯১
|-
|| ৯ || [[তড়িতচুম্বকীয় বিকিরণ/সম্পর্কসমূহ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১২২
|-
|| ১০ || [[তড়িতচুম্বকীয় বিকিরণ/পরিমাপের এককসমূহ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩২০
|-
|| ১১ || [[তড়িতচুম্বকীয় বিকিরণ/ভূমিকা]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১২৪
|-
|| ১২ || [[তড়িতচুম্বকীয় বিকিরণ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩৫
|-
|মোট পাতা:||১২||মোট শব্দ:||২০৭১
|}
== [[বাবহারকারী:Hi.junaidofficial|Hi.junaidofficial]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|| ১ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/ইনডিরেকশন অপারেটর]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৮২৫
|-
|মোট পাতা:||১||মোট শব্দ:||৮২৫
|}
== [[বাবহারকারী:Md Nayed Ahmed Riaj|Md Nayed Ahmed Riaj]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|| ১ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিকেন ফিঙ্গার]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৮৫
|-
|| ২ || [[রন্ধনপ্রণালী:কই মাছের ঝোল]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২১১
|-
|| ৩ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/ভূমিকা]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৩৩
|-
|| ৪ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/শব্দকোষ/ক-ল]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৭৩
|-
|| ৫ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/ভয়েড ডেটা টাইপ]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২০৭
|-
|মোট পাতা:||৫||মোট শব্দ:||৭০৯
|}
== [[বাবহারকারী:Bosesukla|Bosesukla]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|| ১ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/হৃদযন্ত্র/হৃৎপিণ্ড]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৬২১
|-
|মোট পাতা:||১||মোট শব্দ:||১৬২১
|}
== [[বাবহারকারী:Narrative warrior|Narrative warrior]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|| ১ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/টেক্সট ফাইল থেকে অ্যারে লোড করা]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৪৬৯
|-
|মোট পাতা:||১||মোট শব্দ:||৪৬৯
|}
== [[বাবহারকারী:Abdur Rakib|Abdur Rakib]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|| ১ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/হৃদযন্ত্র/রক্ত সংবহন]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৮৫১
|-
|মোট পাতা:||১||মোট শব্দ:||১৮৫১
|}
== [[বাবহারকারী:Malihamoni|Malihamoni]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|| ১ || [[রন্ধনপ্রণালী:গরুর কাচ্চি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২০৯
|-
|| ২ || [[রন্ধনপ্রণালী:ফিশ কারি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৬৩
|-
|| ৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:ফিশ ফ্রাই]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৪৭
|-
|| ৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:ভেজ নুডলস]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৫৯
|-
|| ৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:বন রুটি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২১১
|-
|| ৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:গরুর মাংস ভুনা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২১০
|-
|| ৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:মালাই চপ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৬০
|-
|| ৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:মশুর ডাল]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৪৮
|-
|মোট পাতা:||৮||মোট শব্দ:||১৪০৭
|}
== [[বাবহারকারী:Akhlakur Rahman Adil|Akhlakur Rahman Adil]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|| ১ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/দৃষ্টিতন্ত্র/পুরাতন/সংবেদী অঙ্গ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৭৯৭
|-
|| ২ || [[রন্ধনপ্রণালী:পনির কারি]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৩১৮
|-
|| ৩ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/সাধারণ অরৈখিকতা]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ৩৬৩
|-
|| ৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিকেন বার্গার]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৭৫
|-
|মোট পাতা:||৪||মোট শব্দ:||১৭৫৩
|}
== [[বাবহারকারী:BNBOY|BNBOY]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|| ১ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/ডিজিটাল নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৭৫৪
|-
|মোট পাতা:||১||মোট শব্দ:||৭৫৪
|}
== [[বাবহারকারী:NeoNoman|NeoNoman]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|| ১ || [[তড়িৎ ও চুম্বক/চুম্বকত্ব/তড়িৎ প্রবাহে কুলম্বের সূত্র]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২২৪
|-
|| ২ || [[তড়িৎ ও চুম্বক/স্থির তড়িৎ/তড়িৎ বিভব]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৮৫৯
|-
|মোট পাতা:||২||মোট শব্দ:||১০৮৩
|}
== [[বাবহারকারী:Hosen MD Obayedullah|Hosen MD Obayedullah]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|মোট পাতা:||০||মোট শব্দ:||০
|}
== [[বাবহারকারী:Daiyan-2004|Daiyan-2004]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|| ১ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/ফর লুপ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৩২৬
|-
|মোট পাতা:||১||মোট শব্দ:||৩২৬
|}
== [[বাবহারকারী:Ishrat Jahan Tahmid|Ishrat Jahan Tahmid]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|| ১ || [[সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/সামাজিক আন্দোলন]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৮৭৫
|-
|| ২ || [[সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/সমষ্টিগত আচরণ]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৩৭৫৩
|-
|মোট পাতা:||২||মোট শব্দ:||৬৬২৮
|}
== [[বাবহারকারী:Obangmoy|Obangmoy]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|| ১ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/লেখক]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১২২
|-
|| ২ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/ভূমিকা]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৫৫৮
|-
|| ৩ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/সুইফট লুপ উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ২৬১
|-
|| ৪ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/লুপের উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ১৯
|-
|| ৫ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/সুইফট অ্যারে উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ২৩১
|-
|| ৬ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/শর্তের উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২৮৮
|-
|মোট পাতা:||৬||মোট শব্দ:||১৪৭৯
|}
== [[বাবহারকারী:MD Ashradul Islam Tasin|MD Ashradul Islam Tasin]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|| ১ || [[তত্ত্ব শিখন/প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষণ: প্রভাবক উপাদান]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৩৯৮
|-
|| ২ || [[তত্ত্ব শিখন/প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষণ: শাখাভিত্তিক অবদান]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৬৭১
|-
|| ৩ || [[তত্ত্ব শিখন/নির্মাণবাদী তত্ত্ব]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১১৪৬
|-
|| ৪ || [[তত্ত্ব শিখন/আচরণবাদী তত্ত্ব]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৪২১
|-
|| ৫ || [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/লগারিদম]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২৪০
|-
|| ৬ || [[অতীন্দ্রিয়বাদ/অতীন্দ্রিয়বাদ কি?]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৮২৮
|-
|মোট পাতা:||৬||মোট শব্দ:||৯৭০৪
|}
== [[বাবহারকারী:Sifat Hasan Adil|Sifat Hasan Adil]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|মোট পাতা:||০||মোট শব্দ:||০
|}
== [[বাবহারকারী:Waliurrahmanlimon|Waliurrahmanlimon]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|| ১ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/সি-শার্প পরিচিতি উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ২১১
|-
|মোট পাতা:||১||মোট শব্দ:||২১১
|}
== [[বাবহারকারী:Editobd|Editobd]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|| ১ || [[রন্ধনপ্রণালী:বেসনের পকোড়া]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩৮৬
|-
|| ২ || [[রন্ধনপ্রণালী:বেসনের চপ]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৫৮১
|-
|| ৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিকেন চিলি]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৪০৬
|-
|| ৪ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/অভিযোজিত নিয়ন্ত্রণ]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ১০৮
|-
|| ৫ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/আর্থ্রোপড]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ৮৯৬
|-
|| ৬ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ০
|-
|মোট পাতা:||৬||মোট শব্দ:||২৩৭৭
|}
== [[বাবহারকারী:Dolon Prova|Dolon Prova]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|| ১ || [[রন্ধনপ্রণালী:শসার রায়তা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৫০
|-
|| ২ || [[রন্ধনপ্রণালী:আলু বেগুনের ঝোল]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৯৭
|-
|| ৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:ভাপা পিঠা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৫৯
|-
|| ৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:বাঁধাকপি ভাজি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২০৬
|-
|| ৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিংড়ি ভুনা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৯৩
|-
|| ৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:শুঁটকি ভুনা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৫৯
|-
|মোট পাতা:||৬||মোট শব্দ:||১১৬৪
|}
== [[বাবহারকারী:Saadi095|Saadi095]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|| ১ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিকেন নুডলস]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৫৮
|-
|মোট পাতা:||১||মোট শব্দ:||২৫৮
|}
p0d9jlymh14enzsfvi3mbb2zup520v6
85842
85841
2025-07-08T10:19:00Z
Maruf
8010
সংশোধন
85842
wikitext
text/x-wiki
{| class="wikitable sortable"
|+ এক নজরে পরিসংখ্যান (শব্দ সংখ্যার ভিত্তিতে হালনাগাদ ও সঠিকভাবে সাজানো)
|-
! সি. !! ব্যবহারকারী !! গৃহীত নিবন্ধ সংখ্যা !! শব্দ সংখ্যা
|-
| ১ || SMontaha32 || ১০৯ || ১,৭৯,৫৭১
|-
| ২ || MS Sakib || ১৩ || ১,৭১,৫৬৮
|-
| ৩ || Asikur.rahman25 || ৫২ || ১,২২,২৬৩
|-
| ৪ || NusJaS || ১৫ || ১,১২,১৮৪
|-
| ৫ || M.Asaduzzaman sahed || ৩১ || ১,০৮,৫১৬
|-
| ৬ || RDasgupta2020 || ২০২ || ৮১,৩৮৫
|-
| ৭ || Sheikh Mehedi Hassan || ৬৫ || ৭৬,৩১৭
|-
| ৮ || Firuz Ahmmed || ১৭২ || ৭২,১৩৩
|-
| ৯ || MD Abu Siyam || ১৭৭ || ৪৯,৩৭৮
|-
| ১০ || Md Mobashir Hossain || ৮০ || ২৮,১৮৮
|-
| ১১ || Ei to ami akash || ২৪ || ২২,২০১
|-
| ১২ || MD Ashradul Islam Tasin || ৬ || ৯,৭০৪
|-
| ১৩ || Anik Kanti Dey || ১২ || ৯,২১৬
|-
| ১৪ || Md Rashidul Hasan Biplob || ২০ || ৮,৩৭৯
|-
| ১৫ || Sheikh MD. Obaidul Hossain || ৪ || ৭,৫২৭
|-
| ১৬ || Ishrat Jahan Tahmid || ২ || ৬,৬২৮
|-
| ১৭ || নিয়াজ ইসলাম || ৩৫ || ৫,৬৪৬
|-
| ১৮ || Salil Kumar Mukherjee || ১৫ || ৫,২৭৮
|-
| ১৯ || যুবায়ের হোসাইন কায়েফ || ২০ || ৪,৬৩৬
|-
| ২০ || Editobd || ৬ || ২,৩৭৭
|-
| ২১ || Somajyoti || ১২ || ২,০৭১
|-
| ২২ || Anisvai || ১০ || ২,০৬১
|-
| ২৩ || Dr. Mosaddek Khondoker || ১ || ১,৯৯৯
|-
| ২৪ || রানা১২৩ || ৫ || ১,৮৬২
|-
| ২৫ || Abdur Rakib || ১ || ১,৮৫১
|-
| ২৬ || Akhlakur Rahman Adil || ৪ || ১,৭৫৩
|-
| ২৭ || Sa'Adat-E-Zubaire || ৩ || ১,৭৪০
|-
| ২৮ || Bosesukla || ১ || ১,৬২১
|-
| ২৯ || Obangmoy || ৬ || ১,৪৭৯
|-
| ৩০ || Malihamoni || ৮ || ১,৪০৭
|-
| ৩১ || Dolon Prova || ৬ || ১,১৬৪
|-
| ৩২ || Sagar Mahmud 1122 || ৫ || ১,০৯৩
|-
| ৩৩ || NeoNoman || ২ || ১,০৮৩
|-
| ৩৪ || Hi.junaidofficial || ১ || ৮২৫
|-
| ৩৫ || BNBOY || ১ || ৭৫৪
|-
| ৩৬ || Thajib Hossain || ২ || ৭১৯
|-
| ৩৭ || T. Fhyym || ১ || ৭১০
|-
| ৩৮ || Md Nayed Ahmed Riaj || ৫ || ৭০৯
|-
| ৩৯ || Towfik Ahmed 07 || ১ || ৫২৩
|-
| ৪০ || Ajmain Istheak || ২ || ৪৮৭
|-
| ৪১ || Narrative warrior || ১ || ৪৬৯
|-
| ৪২ || Ridnin Riz || ১ || ৪১৮
|-
| ৪৩ || Azizul Islam Abir || ২ || ৩৮৯
|-
| ৪৪ || MD Sahib || ১ || ৩৮৩
|-
| ৪৫ || Yasser Raihan || ১ || ৩৫২
|-
| ৪৬ || Daiyan-২০০৪ || ১ || ৩২৬
|-
| ৪৭ || Saadi০৯৫ || ১ || ২৫৮
|-
| ৪৮ || Md.Farhan Mahmud || ১ || ২১৫
|-
| ৪৯ || Waliurrahmanlimon || ১ || ২১১
|-
| ৫০ || MdsShakil || ২ || ২০৫
|-
| ৫১ || Md Nasir Uddin Biplob || ১ || ১৮৩
|-
| ৫২ || Prerana Hatua || ১ || ১৩২
|-
| ৫৩ || Parishexplorer || ০ || ০
|-
| ৫৪ || Najmol Hasan || ০ || ০
|-
| ৫৫ || Hosen MD Obayedullah || ০ || ০
|-
| ৫৬ || Sifat Hasan Adil || ০ || ০
|}
== [[বাবহারকারী:Ei to ami akash|Ei to ami akash]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|| ১ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/যুক্তিবিদ্যা/প্রকরণ যুক্তি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩৪৩
|-
|| ২ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/নকশা/প্রারম্ভিক অংশ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৬৮১
|-
|| ৩ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/নকশা/নথির বিন্যাস/সংগঠনের ধরন]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৪৬০
|-
|| ৪ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/নকশা/চিত্র]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৭৯৮
|-
|| ৫ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/নকশা/চিত্রপট]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৮৭১
|-
|| ৬ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/দর্শনের উদ্ভব]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৪৭৬
|-
|| ৭ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/যুক্তিবিদ্যা/যুক্তি ও কারণ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১০৭৮
|-
|| ৮ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/বৌদ্ধ দর্শন কী?]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৯৮০
|-
|| ৯ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/নৈতিকতা কী?]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৪৩৫
|-
|| ১০ || [[কোয়ান্টাম জগৎ/প্রভাব ও প্রয়োগ/শক্তি কোয়ান্টাইজড কেন]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ৩৯৩
|-
|| ১১ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/MIMO সিস্টেমের জন্য স্বত্বমান নির্ধারণ]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৭৭৮
|-
|| ১২ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/তারের অনুপ্রস্থ কম্পন]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৩৯০
|-
|| ১৩ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/কার্টেসীয় স্থানাঙ্কে শব্দতরঙ্গ সমাধান]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২৪৩
|-
|| ১৪ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/শব্দতরঙ্গ সমীকরণ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৪৩০
|-
|| ১৫ || [[অধ্যয়ন দক্ষতা/বিকল্প কৌশল]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৬৪১
|-
|| ১৬ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/সময়-ডোমেইন সমাধান]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ১৩৮
|-
|| ১৭ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/স্থিতিস্থাপক কঠিন পদার্থে তরঙ্গগতি]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩৪৮
|-
|| ১৮ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/শব্দকোষ/বই সংস্করণ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১২৮
|-
|| ১৯ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/শ্রেণীবিন্যাস]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৫৮৪
|-
|| ২০ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/রসায়নিক পদার্থ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৬১৮
|-
|| ২১ || [[তড়িৎ ও চুম্বক/স্থির তড়িৎ/কুলম্বের সূত্র]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৩৩৮
|-
|| ২২ || [[সাধারণ বলবিজ্ঞান/টর্ক ও কৌণিক ভরবেগ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৫৩৯
|-
|| ২৩ || [[তড়িৎ ও চুম্বক/চুম্বকত্ব/ভেক্টর গুণফল]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ১৩২
|-
|| ২৪ || [[সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/সংস্কৃতি]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৩৩৭৯
|-
|মোট পাতা:||২৪||মোট শব্দ:||২২২০১
|}
== [[বাবহারকারী:MD Abu Siyam|MD Abu Siyam]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|| ১ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/স্ট্রিং ডেটা টাইপ]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ৫১৭
|-
|| ২ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/শ্রবণের পরিবাহী প্রক্রিয়া]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৮০
|-
|| ৩ || [[ত্রিমাত্রিক মুদ্রণ/মুদ্রণ পরবর্তী প্রক্রিয়াকরণ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১০৭
|-
|| ৪ || [[ত্রিমাত্রিক মুদ্রণ/স্লাইসিং সফটওয়্যার]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২০৫
|-
|| ৫ || [[ত্রিমাত্রিক মুদ্রণ/মডেলসমূহ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২০০
|-
|| ৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:বড়া খিচুড়ি]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩৩৭
|-
|| ৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:পানতোয়া]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৮৪
|-
|| ৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:শাহী দাল মাখনি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩০৭
|-
|| ৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিকেন ড্রামস্টিক]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩০২
|-
|| ১০ || [[রন্ধনপ্রণালী:জিরা পানি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৬৭
|-
|| ১১ || [[রন্ধনপ্রণালী:বাদাম ভর্তা]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩০০
|-
|| ১২ || [[রন্ধনপ্রণালী:পনির পাকোড়া]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৭৭
|-
|| ১৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:পাঁপড়]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৬৬
|-
|| ১৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:ছিটা রুটি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩৫৬
|-
|| ১৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিকেন দম বিরিয়ানি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩৭৪
|-
|| ১৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:কর্নডগ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৭৩
|-
|| ১৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:আচারি চিকেন]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৪৩৬
|-
|| ১৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:পেস্তা হালুয়া]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২২৩
|-
|| ১৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:হান্ডি বিফ]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৭৬
|-
|| ২০ || [[রন্ধনপ্রণালী:মাঠা]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৭২
|-
|| ২১ || [[রন্ধনপ্রণালী:ব্রাউনি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৩৬
|-
|| ২২ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিকেন শাসলিক]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২২৮
|-
|| ২৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিকেন জালি কাবাব]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৩৫
|-
|| ২৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:জাফরানি শরবত]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৯৭
|-
|| ২৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:বাদাম শরবত]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২০২
|-
|| ২৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:হুমুস]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৮২
|-
|| ২৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিকেন নাচোস]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২১৯
|-
|| ২৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:পটেটো ওয়েজেস]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৪৩
|-
|| ২৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিকেন টিক্কা কাবাব]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৪০
|-
|| ৩০ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিকেন বটি কাবাব]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৫০
|-
|| ৩১ || [[রন্ধনপ্রণালী:অনিয়ন রিংস]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২২৪
|-
|| ৩২ || [[রন্ধনপ্রণালী:কুনাফা চকলেট]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৭৯
|-
|| ৩৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:টাকো]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৬৮
|-
|| ৩৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:কচুপাতা ভর্তা]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৭৩
|-
|| ৩৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:চাল কুমড়ার মোরব্বা]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৮৮
|-
|| ৩৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:আমের মোরব্বা]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৯৯
|-
|| ৩৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:পেলকা]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৬৭
|-
|| ৩৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:চ্যাপা শুটকি ভর্তা]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৩৮৮
|-
|| ৩৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:ডোনাট]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৫৩২
|-
|| ৪০ || [[কানাডায় শরনার্থী প্রক্রিয়া/ শব্দকোষ]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৩০৩
|-
|| ৪১ || [[উইকিশৈশব:চলো নাইকার গুহাতে স্ফটিকীকরণ নিয়ে কথা বলি]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৩৮৯
|-
|| ৪২ || [[উইকিশৈশব:চলো নাইকার গুহাতে স্ফটিকীকরণ নিয়ে কথা বলি/১২ - তরবারির গুহায় স্ফটিক গঠন]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৬১
|-
|| ৪৩ || [[উইকিশৈশব:চলো নাইকার গুহাতে স্ফটিকীকরণ নিয়ে কথা বলি/১ - নাইকা মেক্সিকোতে অবস্থিত]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৪৬
|-
|| ৪৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:ধোকলা]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৭০
|-
|| ৪৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:তেলি হাঁস ভুনা]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২২৮
|-
|| ৪৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:মুড়ি সন্দেশ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৫৮
|-
|| ৪৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:খেজুরের ক্ষীর]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২২৭
|-
|| ৪৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:গরুর মাংসের ঝুরি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩২০
|-
|| ৪৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:মাছের দো পোয়া]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৬৫
|-
|| ৫০ || [[রন্ধনপ্রণালী:ফাফড়া]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৬৮
|-
|| ৫১ || [[রন্ধনপ্রণালী:মোচার ঘন্ট]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৬০
|-
|| ৫২ || [[রন্ধনপ্রণালী:ঘিয়ের মোয়া]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৫৪
|-
|| ৫৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:কাঁঠালের বিচির ঘন্ট]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২১২
|-
|| ৫৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:ক্ষীরশাপটা]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৩৬
|-
|| ৫৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিংড়ি নারকেল ঝোল]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৪৭
|-
|| ৫৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:ধনেপাতার মুরগী]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৫৪
|-
|| ৫৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:মেওয়া লাড্ডু]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২০৭
|-
|| ৫৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:আলুর বড়া]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৭৬
|-
|| ৫৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:ইলিশের খোসার ঝোল]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩০৬
|-
|| ৬০ || [[রন্ধনপ্রণালী:লাউ ভাজা]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২১১
|-
|| ৬১ || [[রন্ধনপ্রণালী:ডিমের টমেটো কারি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৫৫
|-
|| ৬২ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিড়ার কাবাব]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২২৪
|-
|| ৬৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:চালতার আচার]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২২৪
|-
|| ৬৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:বুটের শিরনী]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৭৩
|-
|| ৬৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:লাউ খোয়া]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৬৩
|-
|| ৬৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:পুঁটিমাছ ভুনা]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৫৮
|-
|| ৬৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:মেজবানি মাংস]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৯১
|-
|| ৬৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:তান্দুরি রুটি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৭১
|-
|| ৬৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:বিফ চাপ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩১০
|-
|| ৭০ || [[রন্ধনপ্রণালী:ছানার দম পনির]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৯৭
|-
|| ৭১ || [[রন্ধনপ্রণালী:নবাবি কচুরি]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৩৫৫
|-
|| ৭২ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিকেন দোপেয়াজা]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৩৬৩
|-
|| ৭৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:মালাই কোফতা]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৩৭৩
|-
|| ৭৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:পনির বাটার মসলা]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৩৬৩
|-
|| ৭৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:চুইঝাল চিংড়ি]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৩৩০
|-
|| ৭৬ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/অ্যাপ্লিকেশন ওয়েবসাইটসমূহ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৫২
|-
|| ৭৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:পটলের চপ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৯৬
|-
|| ৭৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:চালকুমড়ার বড়া]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৬৮
|-
|| ৭৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:চকলেট মিল্কশেক]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২২০
|-
|| ৮০ || [[রন্ধনপ্রণালী:শুটকি চচ্চড়ি]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৮৮
|-
|| ৮১ || [[রন্ধনপ্রণালী:সবজি পাকোড়া]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৭৯
|-
|| ৮২ || [[রন্ধনপ্রণালী:মুগডালের হালুয়া]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৯৪
|-
|| ৮৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:বাঁধাকপির ঘন্ট]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৬৯
|-
|| ৮৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:পোড়া বেগুন ভর্তা]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৬৬
|-
|| ৮৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিকেন নাগা কারি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩০০
|-
|| ৮৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:স্ট্রবেরি মিল্কশেক]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৭৯
|-
|| ৮৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:স্ট্রবেরি লাচ্ছি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৯৬
|-
|| ৮৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:ম্যাংগো মিল্কশেক]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৮৬
|-
|| ৮৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:তেঁতুলের চাটনি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২১০
|-
|| ৯০ || [[রন্ধনপ্রণালী:পুদিনা চাটনি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২২৪
|-
|| ৯১ || [[রন্ধনপ্রণালী:বাদাম পুলি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৭২
|-
|| ৯২ || [[রন্ধনপ্রণালী:সরষে পাবদা]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩১৯
|-
|| ৯৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:রসকদম্ব]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩২১
|-
|| ৯৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:কাঁচকলার কোপ্তা]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩১০
|-
|| ৯৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:সজনে ডাল]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২১৩
|-
|| ৯৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:ম্যাংগো লাচ্ছি]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২৪৯
|-
|| ৯৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিংড়ি ভর্তা]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২৪০
|-
|| ৯৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:সাগুর পায়েস]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২৬৩
|-
|| ৯৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:মুরগির পাকোড়া]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২৭৯
|-
|| ১০০ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিকেন পপকর্ন]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৩০০
|-
|| ১০১ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/লজিক্যাল অপারেটর]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৪৩৫
|-
|| ১০২ || [[রন্ধনপ্রণালী:মাংসের আচার]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৩৩৬
|-
|| ১০৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:রামেন]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২৭০
|-
|| ১০৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিঁড়ের পায়েস]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৫২
|-
|| ১০৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:শিমের ডালনা]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২৭১
|-
|| ১০৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিকেন স্যুপ]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২৯০
|-
|| ১০৭ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/সাইজঅফ অপারেটর]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৩১১
|-
|| ১০৮ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/সফটওয়্যার টেস্টিং]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৫৭৯
|-
|| ১০৯ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/রিলেশনাল অপারেটর]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৯৭
|-
|| ১১০ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/প্রোগ্রাম ডিজাইন]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৫৯৯
|-
|| ১১১ || [[রন্ধনপ্রণালী:বালাচাও]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ৩৩৫
|-
|| ১১২ || [[রন্ধনপ্রণালী:টমেটো খাট্টা]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২৮১
|-
|| ১১৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:মধুভাত]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২৮৯
|-
|| ১১৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:ফুলকপির ধোকা]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৩৩৬
|-
|| ১১৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:ছানার ডালনা]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২৯৬
|-
|| ১১৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:রেজালা]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ৩০৩
|-
|| ১১৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:মোঘলাই কোরমা]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৮৭
|-
|| ১১৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:পটলের কোপ্তা]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৪৪১
|-
|| ১১৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:কাঁচামিষ্টি আমদই]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২২০
|-
|| ১২০ || [[রন্ধনপ্রণালী:সাতকরা গরুর মাংস]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২২৯
|-
|| ১২১ || [[রন্ধনপ্রণালী:শাহী টুকরা]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ৩৪৫
|-
|| ১২২ || [[রন্ধনপ্রণালী:শাহী দুধ সেমাই]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ৩১৫
|-
|| ১২৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:চীজকেক]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৬০
|-
|| ১২৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:আলু পনির]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৩৮
|-
|| ১২৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:রাবড়ি]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৮৫
|-
|| ১২৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:ছানার বরফি]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৭২
|-
|| ১২৭ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/সুইফট অবজেক্ট উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ২৯৮
|-
|| ১২৮ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/সুইফট পরিচিতি উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ২০২
|-
|| ১২৯ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/জাভাস্ক্রিপ্ট পরিচিতি উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ৩৫২
|-
|| ১৩০ || [[রন্ধনপ্রণালী:ছোলে ভাটুরে]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৯৯
|-
|| ১৩১ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/লেখকবৃন্দ]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ৩৬
|-
|| ১৩২ || [[রন্ধনপ্রণালী:খাসির চাপ]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৬৭
|-
|| ১৩৩ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/প্রোগ্রামিং পরিচিতি]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ১৯২
|-
|| ১৩৪ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/পাইথন পরিচিতি উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ২১৩
|-
|| ১৩৫ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/ডেটা ম্যানিপুলেশন]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ৫৭৭
|-
|| ১৩৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:প্যানকেক]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৪৫
|-
|| ১৩৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:সুজির টোস্ট]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৬৪
|-
|| ১৩৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:দই চাট]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২১৪
|-
|| ১৩৯ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/সূচীপত্র]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১০৩৫
|-
|| ১৪০ || [[রন্ধনপ্রণালী:আচারি বিফ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩৫১
|-
|| ১৪১ || [[রন্ধনপ্রণালী:দই কাতলা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩৫২
|-
|| ১৪২ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিড়ার সরবত]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩৩১
|-
|| ১৪৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:ঘুগনি]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩৭৪
|-
|| ১৪৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:ঘোল]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩০৯
|-
|| ১৪৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিকেন শর্মা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৯২
|-
|| ১৪৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:ফিশ কাটলেট]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৬৪
|-
|| ১৪৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:জর্দা সেমাই]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৭৩
|-
|| ১৪৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:গরুর পায়া]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৩৬৮
|-
|| ১৪৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:তিলের নাড়ু]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২৫৪
|-
|| ১৫০ || [[রন্ধনপ্রণালী:নারকেলের নাড়ু]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৪৬
|-
|| ১৫১ || [[রন্ধনপ্রণালী:মুরগির কোরমা]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২৯৩
|-
|| ১৫২ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিকেন ললিপপ]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২৪১
|-
|| ১৫৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:কলিজা ভুনা]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২৬১
|-
|| ১৫৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:কলিজা সিঙ্গারা]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৩৩৮
|-
|| ১৫৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:মলিদা]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২১৮
|-
|| ১৫৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:আলু পরোটা]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২৫৭
|-
|| ১৫৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:ডিম পরোটা]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২৬৮
|-
|| ১৫৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:বাটার নান]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৩৩০
|-
|| ১৫৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:দুধ চিতই]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৩২১
|-
|| ১৬০ || [[রন্ধনপ্রণালী:দুধ পুলি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৩৫
|-
|| ১৬১ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিংড়ির ভর্তা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৬৫
|-
|| ১৬২ || [[রন্ধনপ্রণালী:মশলা চা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২১৬
|-
|| ১৬৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:আদা চা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৩৮
|-
|| ১৬৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:লেবু চা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৪৫
|-
|| ১৬৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:বেলপুরি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৪২২
|-
|| ১৬৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:ছানার পায়েস]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৪৫৫
|-
|| ১৬৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:ফ্রায়েড রাইস]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২১৬
|-
|| ১৬৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:বিফ স্টেক]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৯৫
|-
|| ১৬৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:ডিম টোস্ট]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১০৯
|-
|| ১৭০ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/অ্যাসাইনমেন্ট বনাম সমতা]] || [[বাবহারকারী:Maruf|Maruf]] || ৩৮৮
|-
|| ১৭১ || [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/বিষয়সমূহ]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ১৪৯
|-
|| ১৭২ || [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/লেখক]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৮
|-
|| ১৭৩ || [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৯২
|-
|| ১৭৪ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/ডেটা এবং অপারেটর]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৫২
|-
|| ১৭৫ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/সি++ সংরক্ষিত কীওয়ার্ড]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২৪৪
|-
|| ১৭৬ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/বুলিয়ান ডেটা টাইপ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৩৩০
|-
|| ১৭৭ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/অ্যাসাইনমেন্ট]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২৬২
|-
|মোট পাতা:||১৭৭||মোট শব্দ:||৪৯৩৭৮
|}
== [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|| ১ || [[জাপানের ইতিহাস: পুরাণ থেকে জাতিসত্ত্বা]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৪৯২
|-
|| ২ || [[জাপানের ইতিহাস: পুরাণ থেকে জাতিসত্ত্বা/আসুকা যুগ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৮৩৮৩
|-
|| ৩ || [[সবকিছুর জন্যেই ইন্টারনেট?/নজরদারি ও প্রতিনজরদারি]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২০৫৬৫
|-
|| ৪ || [[সবকিছুর জন্যেই ইন্টারনেট?/ডিজিটাল যুগে ব্যক্তিগত ও জনপরিসর]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৮৯৫৫
|-
|| ৫ || [[সবকিছুর জন্যেই ইন্টারনেট?]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৪৬১
|-
|| ৬ || [[সবকিছুর জন্যেই ইন্টারনেট?/প্রযুক্তিগত ও সাংস্কৃতিক নির্ধারণবাদ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৩৭০৩
|-
|| ৭ || [[কানাডায় শরনার্থী প্রক্রিয়া/স্বাধীন সিদ্ধান্তগ্রহণকারীর অধিকার]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ৫২৫১
|-
|| ৮ || [[কানাডায় শরনার্থী প্রক্রিয়া/শরণার্থী প্রক্রিয়া ব্যাখ্যার নীতিমালা]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ১৭৩৪৩
|-
|| ৯ || [[কানাডায় শরনার্থী প্রক্রিয়া/বোর্ডের অনুসন্ধানমূলক দায়িত্ব]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ৬৮৮৬
|-
|| ১০ || [[কানাডায় শরনার্থী প্রক্রিয়া/পক্ষপাতহীন সিদ্ধান্তগ্রহণকারীর অধিকার]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ৫২৬৯
|-
|| ১১ || [[কানাডায় শরনার্থী প্রক্রিয়া/ন্যায্য শুনানির অধিকার]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২১৪৮৪
|-
|| ১২ || [[কানাডায় শরনার্থী প্রক্রিয়া/কানাডায় শরণার্থী প্রক্রিয়ার ইতিহাস]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২০৮৮৪
|-
|| ১৩ || [[কানাডায় শরনার্থী প্রক্রিয়া]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৮৯২
|-
|মোট পাতা:||১৩||মোট শব্দ:||১৭১৫৬৮
|}
== [[বাবহারকারী:Asikur.rahman25|Asikur.rahman25]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|| ১ || [[রাজনৈতিক যোগাযোগের উপাদান/প্রচলিত মিডিয়া নির্দেশিকা/মতামত কলাম ও সম্পাদককে চিঠি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৮১৩
|-
|| ২ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/কক্ষে তড়িৎ-শব্দীয় স্থাপনাসমূহ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৯০২
|-
|| ৩ || [[জাপানের ইতিহাস: পুরাণ থেকে জাতিসত্ত্বা/আজুচি–মোমোয়ামা যুগ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৬০৫
|-
|| ৪ || [[জাপানের ইতিহাস: পুরাণ থেকে জাতিসত্ত্বা/মুরোমাচি যুগ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৫৪৭
|-
|| ৫ || [[জাপানের ইতিহাস: পুরাণ থেকে জাতিসত্ত্বা/কামাকুরা যুগ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৭০০
|-
|| ৬ || [[জাপানের ইতিহাস: পুরাণ থেকে জাতিসত্ত্বা/জোমন যুগ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১২৭৮
|-
|| ৭ || [[জাপানের ইতিহাস: পুরাণ থেকে জাতিসত্ত্বা/সংঘর্ষকালীন রাজ্য যুগ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২০৮৯
|-
|| ৮ || [[জাপানের ইতিহাস: পুরাণ থেকে জাতিসত্ত্বা/জাপানে মার্কিন দখল]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩১৮৪
|-
|| ৯ || [[জাপানের ইতিহাস: পুরাণ থেকে জাতিসত্ত্বা/বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী জাপান]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২১৬৪
|-
|| ১০ || [[জাপানের ইতিহাস: পুরাণ থেকে জাতিসত্ত্বা/তাইশো যুগ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৩৭৬
|-
|| ১১ || [[সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/লিঙ্গ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৩২৫৯
|-
|| ১২ || [[সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/সমাজ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২৯২২
|-
|| ১৩ || [[মানব শারীরতত্ত্ব/জিনতত্ত্ব ও বংশগতি]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৬১৮০
|-
|| ১৪ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/প্রজনন তন্ত্র]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৪৫৪৫
|-
|| ১৫ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/অন্তঃক্ষরা তন্ত্র]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৫৪৪৯
|-
|| ১৬ || [[জাপানের ইতিহাস: পুরাণ থেকে জাতিসত্ত্বা/গ্রন্থপঞ্জি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২০৬৭
|-
|| ১৭ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/পৌষ্টিকনালী ও পরিপাক]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৩৮৩৫
|-
|| ১৮ || [[সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/জনসংখ্যাতত্ত্ব]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩৩৮০
|-
|| ১৯ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/স্নায়ুতন্ত্র]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২৮২৫
|-
|| ২০ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/জ্ঞানেন্দ্রিয়সমূহ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৩২১৭
|-
|| ২১ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/দৃষ্টি সংকেত প্রক্রিয়াকরণ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৫৭৬৯
|-
|| ২২ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/মানব স্বররজ্জু/উৎস-ফিল্টার তত্ত্ব]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৪৪৮
|-
|| ২৩ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/ভারসাম্যতন্ত্রের সংকেত প্রক্রিয়াকরণ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৪৪৪
|-
|| ২৪ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/ইরান]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩০০১
|-
|| ২৫ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/ উদ্দীপনাময় বিংশ শতাব্দী এবং নিষেধাজ্ঞা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৫৪১৭
|-
|| ২৬ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/ট্রুম্যান এবং স্নায়ু যুদ্ধ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৬০৬
|-
|| ২৭ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/রাজনৈতিক দর্শন কী?]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৯৪৮
|-
|| ২৮ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/অতিভৌতিকতা কী?]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১০৯৫
|-
|| ২৯ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/সুবিধাবাদ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৮৬৬
|-
|| ৩০ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/ব্যক্তি কী?]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ২৪৬৩
|-
|| ৩১ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/বিস্ফোরণ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৭০১
|-
|| ৩২ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের শব্দবিজ্ঞানগত চ্যালেঞ্জ]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ১২১৬
|-
|| ৩৩ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/পতঙ্গ/দিকনির্ণয়]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৫৮১
|-
|| ৩৪ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/বর্ণ প্রত্যক্ষণ]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ২১৪৪
|-
|| ৩৫ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/মাকড়সা]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৩৯৩২
|-
|| ৩৬ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/প্রতিবেদন/পরিকল্পনা]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ১২৩৫
|-
|| ৩৭ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/জৈবচিকিৎসীয় আলট্রাসাউন্ড]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ১৮৩৬
|-
|| ৩৮ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/অক্টোপাস]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৬৯৭
|-
|| ৩৯ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/মূত্রতন্ত্র]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৩০৪৭
|-
|| ৪০ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/ত্বক]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২৬১২
|-
|| ৪১ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/শ্বসনতন্ত্র]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ২১২১
|-
|| ৪২ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/কোষ]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৩২৩১
|-
|| ৪৩ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/ফ্লোচার্ট]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৮৮৪
|-
|| ৪৪ || [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/তাপগতিবিদ্যা]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ৭৮০
|-
|| ৪৫ || [[তত্ত্ব শিখন/প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষণ: অনুশীলন]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৯০৬
|-
|| ৪৬ || [[সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/পরিবার]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৫৫২৫
|-
|| ৪৭ || [[সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/দৈনন্দিন জীবন/প্রযুক্তি/টেলিভিশন]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৫৬৪
|-
|| ৪৮ || [[সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/শিক্ষা]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২৩৯৬
|-
|| ৪৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:নানরুটি]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৪৪
|-
|| ৫০ || [[রন্ধনপ্রণালী:ছোলার ডাল]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ১৭৭
|-
|| ৫১ || [[রন্ধনপ্রণালী:বাকরখানি]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৭০
|-
|| ৫২ || [[অতীন্দ্রিয়বাদ/বিশ্বাস ও মস্তিষ্ক নিয়ে গবেষণা]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ১৭৭০
|-
|মোট পাতা:||৫২||মোট শব্দ:||১২২২৬৩
|}
== [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|| ১ || [[মানব শারীরতত্ত্ব/অন্তঃক্ষরা গ্রন্থিতন্ত্র]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ৭০৩৭
|-
|| ২ || [[জাপানের ইতিহাস: পুরাণ থেকে জাতিসত্ত্বা/মধ্য হেইয়ান যুগ]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ৯৫৬৫
|-
|| ৩ || [[জাপানের ইতিহাস: পুরাণ থেকে জাতিসত্ত্বা/ইয়াইয়োই যুগ]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ১০৭৪০
|-
|| ৪ || [[জাপানের ইতিহাস: পুরাণ থেকে জাতিসত্ত্বা/আধুনিক জাপান]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৪০৮৪
|-
|| ৫ || [[চিন্তন ও নির্দেশনা/সহযোগিতামূলক এবং অনুসন্ধানভিত্তিক শিখন]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৩৯৯৩
|-
|| ৬ || [[চিন্তন ও নির্দেশনা/শেখার জন্য প্রযুক্তি ও নকশা]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ৭৪৫৫
|-
|| ৭ || [[চিন্তন ও নির্দেশনা/শিখন ও স্মৃতি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৯৩৪৩
|-
|| ৮ || [[চিন্তন ও নির্দেশনা/মেটাকগনিশন ও স্ব-নিয়ন্ত্রিত শেখা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৫৯৪৫
|-
|| ৯ || [[চিন্তন ও নির্দেশনা/পড়তে শেখা]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ৭৩৩৫
|-
|| ১০ || [[চিন্তন ও নির্দেশনা/দীর্ঘমেয়াদী স্মৃতি]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ৫১০১
|-
|| ১১ || [[চিন্তন ও নির্দেশনা/গণিত শেখা]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৮৩৩৫
|-
|| ১২ || [[মানব শারীরতত্ত্ব/রেচনতন্ত্র]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ৫৭৫৩
|-
|| ১৩ || [[চিন্তন ও নির্দেশনা/এনকোডিং ও পুনরুদ্ধার]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২২৬২
|-
|| ১৪ || [[মানব শারীরতত্ত্ব/গর্ভধারণ ও সন্তান প্রসব]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ৮২৭২
|-
|| ১৫ || [[চিন্তন ও নির্দেশনা/সাংবদ্ধ মনোবিজ্ঞানের উৎপত্তি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৬৯৬৪
|-
|মোট পাতা:||১৫||মোট শব্দ:||১১২১৮৪
|}
== [[বাবহারকারী:Anisvai|Anisvai]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|| ১ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/কর্তব্যবাদ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৩৫
|-
|| ২ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/প্রয়োগবাদ]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২৪৭
|-
|| ৩ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/উৎস নথিভুক্তকরণ/তথ্যসূত্র]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৬৭
|-
|| ৪ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/পরিণামবাদ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩৫৪
|-
|| ৫ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/চেতনা বিষয়ক দর্শন]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩৯১
|-
|| ৬ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/সামাজিক চুক্তি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৫৭
|-
|| ৭ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/যুক্তিবিদ্যা/জটিল সূত্র নির্মাণ]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ১০৮
|-
|| ৮ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/অভিজ্ঞতাবাদ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১০১
|-
|| ৯ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/প্রাচীন রাজনৈতিক দর্শন]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৩৪
|-
|| ১০ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/সৌন্দর্যবোধ]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ১৬৭
|-
|মোট পাতা:||১০||মোট শব্দ:||২০৬১
|}
== [[বাবহারকারী:SMontaha32|SMontaha32]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|| ১ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/কম্পিউটার মডেল/ভারসাম্যতন্ত্র সিমুলেশন]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১০৭৩
|-
|| ২ || [[চিন্তন ও নির্দেশনা/বিজ্ঞান শিখন ও ধারণাগত পরিবর্তন]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৪৭৪২
|-
|| ৩ || [[জাপানের ইতিহাস: পুরাণ থেকে জাতিসত্ত্বা/জাপানে বৌদ্ধধর্ম]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৭০৫১
|-
|| ৪ || [[জাপানের ইতিহাস: পুরাণ থেকে জাতিসত্ত্বা/প্রারম্ভিক হেইয়ান যুগ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৯২০৭
|-
|| ৫ || [[জাপানের ইতিহাস: পুরাণ থেকে জাতিসত্ত্বা/কোফুন যুগ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১১৬০৫
|-
|| ৬ || [[জাপানের ইতিহাস: পুরাণ থেকে জাতিসত্ত্বা/অবসানকালীন হেইয়ান যুগ]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৬৭৫
|-
|| ৭ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/মানব স্বররজ্জু]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৯০৬
|-
|| ৮ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/দৃষ্টিতন্ত্র]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১১২১৬
|-
|| ৯ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/ওবামা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২২২১
|-
|| ১০ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/ডব্লিউ. বুশ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩৪৯২
|-
|| ১১ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/নির্দেশাবলি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৬৪২
|-
|| ১২ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/নকশা/শেষাংশ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১০২৯
|-
|| ১৩ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/নকশা]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১০০৫
|-
|| ১৪ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/ধর্মতত্ত্ব]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৯৪৯
|-
|| ১৫ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/যুক্তিবিদ্যা/বাক্যযুক্তির আরও আনুষ্ঠানিক দৃষ্টিভঙ্গি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৯০৫
|-
|| ১৬ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/ব্যবসায়িক যোগাযোগ/চিঠি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৭৬৯
|-
|| ১৭ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/ব্যবসায়িক যোগাযোগ/ওয়েবসাইট]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৯৮০
|-
|| ১৮ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/প্রকল্প ব্যবস্থাপনা/দলসমূহ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৬২১
|-
|| ১৯ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/অলঙ্করণ/অনুমান]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৮২২
|-
|| ২০ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/ব্যবসায়িক যোগাযোগ/মেমো]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১২৭১
|-
|| ২১ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/প্রস্তাবনা]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৭৭৯
|-
|| ২২ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/সম্ভাব্যতা]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৭৬৭
|-
|| ২৩ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/উপস্থাপনা]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩৪১৯
|-
|| ২৪ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/নৈতিকতা/সংস্কৃতি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৩০৪
|-
|| ২৫ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/নকশা/ব্যবহারযোগ্যতা]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ১৩০৯
|-
|| ২৬ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/পেশা/জীবনবৃত্তান্ত]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ২৫৩১
|-
|| ২৭ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/পেশা/কাভার লেটার]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২১৭২
|-
|| ২৮ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/পেশা]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৭৯৮
|-
|| ২৯ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/প্রকল্প ব্যবস্থাপনা]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ৭৬৭
|-
|| ৩০ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/পেশাদার লেখনী সম্বন্ধে]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ৫২৯
|-
|| ৩১ || [[সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/সাধারণ সমাজতাত্ত্বিক তত্ত্ব]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৫১
|-
|| ৩২ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/বাদুড় ও ডলফিনের ইকোলোকেশন]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৫৭৭
|-
|| ৩৩ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/চলন্ত কয়েল লাউডস্পিকার]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৫৯৮
|-
|| ৩৪ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/আলট্রাসনিক মাধ্যমের জন্য নতুন শব্দ ফিল্টার]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৪৮১
|-
|| ৩৫ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/ডিজিটাল নিয়ন্ত্রণের ভূমিকা]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৩৭০
|-
|| ৩৬ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/পোল ও জিরো]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৭০২
|-
|| ৩৭ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/স্টেট-স্পেস স্থিতিশীলতা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৮১৬
|-
|| ৩৮ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/সিস্টেম শনাক্তকরণ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১০৮১
|-
|| ৩৯ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/সিস্টেম মেট্রিক্স]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৫৩৪
|-
|| ৪০ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/স্টেট-স্পেস সমীকরণ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৪৫৬
|-
|| ৪১ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/পিজোইলেকট্রিক ট্রান্সডিউসার]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৬৫৯
|-
|| ৪২ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/স্ব-সমন্বয়ী হেলমহোল্টজ অনুরণকের সাহায্যে কোলাহল নিয়ন্ত্রণ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১১৬৫
|-
|| ৪৩ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/কম্পিউটার মডেল/শ্রবণতন্ত্র সিমুলেশন]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৩৪৯৩
|-
|| ৪৪ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/সময় ভেদে পরিবর্তনশীল সিস্টেম সমাধান]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৮৩৮
|-
|| ৪৫ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/রাষ্ট্রপতিরা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২১৬১
|-
|| ৪৬ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/ভারসাম্যতন্ত্রের অঙ্গসংস্থান]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৭৪২
|-
|| ৪৭ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/অন্যান্য প্রাণী]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩০৪৬
|-
|| ৪৮ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/বিপ্লবের পথে]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৪৪৭৬
|-
|| ৪৯ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/আইজেনহাওয়ার নাগরিক অধিকার পঞ্চাশের দশক]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৩৯৩৪
|-
|| ৫০ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/স্নায়ুসংবেদী ইমপ্লান্ট]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৫১৫৫
|-
|| ৫১ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/প্রাক-কলম্বীয়]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৪১৯
|-
|| ৫২ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/আবিষ্কারের যুগ ও গিল্ডেড যুগ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩২৫৯
|-
|| ৫৩ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/স্প্যানিশ গৃহযুদ্ধ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৪৪০
|-
|| ৫৪ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/সংবিধানের প্রাথমিক বছরগুলি]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৭৭৯
|-
|| ৫৫ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/পুনর্গঠন]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৩৯০৩
|-
|| ৫৬ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/ইংরেজ উপনিবেশ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩৬৫২
|-
|| ৫৭ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/সামুদ্রিক প্রাণী]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৮৪২
|-
|| ৫৮ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/ভারসাম্যতন্ত্র]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১২৫৩
|-
|| ৫৯ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/স্নায়ুসংবেদী ইমপ্লান্ট/ভবিষ্যতের দিকনির্দেশনা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৪২৮
|-
|| ৬০ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/কম্পিউটার মডেল/স্নায়বিক সিমুলেশন]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৪৪৬২
|-
|| ৬১ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/বোডি চিত্র]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ১০৪০
|-
|| ৬২ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/ফিল্টার ডিজাইন ও বাস্তবায়ন]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৯২৭
|-
|| ৬৩ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/পতঙ্গ/হ্যালটেরেস]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৫৯৮
|-
|| ৬৪ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/বহুসংবেদী একত্রীকরণ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৬৯১
|-
|| ৬৫ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/পাখি/চৌম্বক উপলব্ধি]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩৫৭৯
|-
|| ৬৬ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/কম্পিউটার মডেল/ঘ্রাণতন্ত্র সিমুলেশন]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৪৭২
|-
|| ৬৭ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/দৃষ্টিতন্ত্র/দৃষ্টিতন্ত্রের আন্তঃপ্রজাতি তুলনা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৪২৭
|-
|| ৬৮ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/হাঙ্গর]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২০৭৪
|-
|| ৬৯ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/অ-প্রাইমেট পাখির গান]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৭৯৯
|-
|| ৭০ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/স্নায়ুসংবেদী ইমপ্লান্ট/কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৪৩১
|-
|| ৭১ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/কম্পিউটার মডেল/বাক্ প্রত্যক্ষণ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৮৩২
|-
|| ৭২ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/ব্যথার শারীরবিদ্যা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৯৩৩
|-
|| ৭৩ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/দেহসংবেদী তন্ত্রে স্পর্শলোম]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৫৩০
|-
|| ৭৪ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/অন্যান্য প্রাণী/ইকোলোকেশনকারী দাঁতযুক্ত তিমি]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৭০৫
|-
|| ৭৫ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/দৃষ্টিতন্ত্র/ইন ভিভো ইমেজিং]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৯৮০
|-
|| ৭৬ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/দৃষ্টিতন্ত্র/পুরাতন/সংবেদী অঙ্গের উপাদান]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৮৬৪
|-
|| ৭৭ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/স্নায়ুসংবেদী ইমপ্লান্ট/ভবিষ্যতের দিকনির্দেশনা/অপটোজেনেটিক্স]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৯১৫
|-
|| ৭৮ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/স্নায়ুসংবেদী ইমপ্লান্ট/ভেস্টিবুলার ইমপ্লান্ট]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৫৪৭
|-
|| ৭৯ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/স্নায়ুসংবেদী ইমপ্লান্ট/রেটিনাল ইমপ্লান্ট]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৩৯৭০
|-
|| ৮০ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/লসিকা তন্ত্র]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৮৩৩
|-
|| ৮১ || [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/লম্ব বল ও ঘর্ষণ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৭৫৪
|-
|| ৮২ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/শব্দকোষ/গ-ঘ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৮১
|-
|| ৮৩ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/শব্দকোষ/থ-ধ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৯৮
|-
|| ৮৪ || [[সাধারণ বলবিজ্ঞান/নিয়ন্ত্রিত গতি]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৬০৮
|-
|| ৮৫ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/শব্দকোষ/ক-খ]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৮১
|-
|| ৮৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:মাছের টিক্কি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৩০
|-
|| ৮৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:রস পিঠা]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২২৩
|-
|| ৮৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:কুমড়ো ঘন্ট]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২১২
|-
|| ৮৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:আমের টক]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৫৬
|-
|| ৯০ || [[রন্ধনপ্রণালী:মিষ্টি পুলি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৮৩
|-
|| ৯১ || [[রন্ধনপ্রণালী:গোমাংস ভুনা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২০৩
|-
|| ৯২ || [[রন্ধনপ্রণালী:সবজি নুডলস]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২১০
|-
|| ৯৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:মাংসের চচ্চড়ি]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২১১
|-
|| ৯৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:বিফ স্যুপ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৯৫
|-
|| ৯৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:লাল সেমাই]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৯৮
|-
|| ৯৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:কোরমা খিচুড়ি]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৭৭
|-
|| ৯৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:পাবদা মাছের ঝোল]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২০৭
|-
|| ৯৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:গরুর রেজালা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৯৪
|-
|| ৯৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:মুরগির কাটলেট]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৬৭
|-
|| ১০০ || [[রন্ধনপ্রণালী:চাপাটি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৯১
|-
|| ১০১ || [[রন্ধনপ্রণালী:বিফ কালিয়া]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৬৩
|-
|| ১০২ || [[রন্ধনপ্রণালী:মুরগি ভুনা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৩৪
|-
|| ১০৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিকেন কারি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৫৩
|-
|| ১০৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:নান রুটি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৬৮
|-
|| ১০৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:বুটের বড়া]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৪৪
|-
|| ১০৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:মুগডালের বড়া]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৩৬
|-
|| ১০৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:মুরগির কোপ্তা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩১৯
|-
|| ১০৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:শসা ভর্তা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৮২
|-
|| ১০৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:মটর ডাল]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২১৮
|-
|মোট পাতা:||১০৯||মোট শব্দ:||১৭৯৫৭১
|}
== [[বাবহারকারী:RDasgupta2020|RDasgupta2020]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|| ১ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/MIMO সিস্টেম]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১০৫০
|-
|| ২ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/ম্যাট্রিক্স অপারেশন]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১২৩৫
|-
|| ৩ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/ওপেন সোর্স টুল/সাইল্যাব]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৭০৮
|-
|| ৪ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/বাস্তবায়ন]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৪৮৭
|-
|| ৫ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/সিস্টেম বিলম্ব]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৯৩৪
|-
|| ৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:চাল পটল]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৪৪
|-
|| ৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:সর্ষে ফুলের বড়া]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৮১
|-
|| ৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:দুধ মুগ পটল]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৪২
|-
|| ৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:গন্ধরাজ পটল]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২০৭
|-
|| ১০ || [[রন্ধনপ্রণালী:হিং-এর কচুরি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৬৫
|-
|| ১১ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিংড়ি মাছের বিরিয়ানি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৩৭
|-
|| ১২ || [[রন্ধনপ্রণালী:পমফ্রেট সর্ষে পোস্ত]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৫৫
|-
|| ১৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:কুমড়োর বড়া]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২০২
|-
|| ১৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:বকফুলের বড়া]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৩৯
|-
|| ১৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিচিঙ্গা ভর্তা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৩১
|-
|| ১৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিংড়ির পুরভরা বেগুনভাজা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৪৭
|-
|| ১৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:রুই মাছ ভুনা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৭২
|-
|| ১৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:মোচার পুর দিয়ে পাটিসাপটা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৪১২
|-
|| ১৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:মালাই পাবদা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৩৪
|-
|| ২০ || [[রন্ধনপ্রণালী:গন্ধরাজ ঘোল পোলাও]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৪১৪
|-
|| ২১ || [[রন্ধনপ্রণালী:গন্ধরাজ ভাপা মাছ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৪১৪
|-
|| ২২ || [[রন্ধনপ্রণালী:কাঁচা আমের চিলি চিকেন]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৪৯
|-
|| ২৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:তিল পটল]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৫৬
|-
|| ২৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:পোস্ত দিয়ে পাঁঠার মাংস]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৯৮
|-
|| ২৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:ডিম বেগুনের ভর্তা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৯০
|-
|| ২৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:মুলো ছেঁচকি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৫৮
|-
|| ২৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:লাউ ছেঁচকি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৭২
|-
|| ২৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:লেবুর কাজি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২১৭
|-
|| ২৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:ডাবের জল আর শাঁস দিয়ে পুডিং]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৪২
|-
|| ৩০ || [[রন্ধনপ্রণালী:কাঁচা আম দিয়ে পনির ভাপা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৫১
|-
|| ৩১ || [[রন্ধনপ্রণালী:তেঁতুলের শরবত]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৭০
|-
|| ৩২ || [[রন্ধনপ্রণালী:বেলের পানার শরবত]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৬৬
|-
|| ৩৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:পুর ভরা ঝিঙে]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৭৪
|-
|| ৩৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:পোস্তর বাটিচচ্চড়ি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৫৮
|-
|| ৩৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:ইলিশের একচড়া]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩১৭
|-
|| ৩৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:মুলোর ঘণ্ট]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৩৫
|-
|| ৩৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:কমলালেবু দিয়ে কই মাছ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৪০২
|-
|| ৩৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:সজনে ডাঁটার পোড়া ভর্তা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৭৮
|-
|| ৩৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:ছানার চচ্চড়ি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৫৬
|-
|| ৪০ || [[রন্ধনপ্রণালী:ডিম সর্ষে]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২০৬
|-
|| ৪১ || [[রন্ধনপ্রণালী:দুধ লাউ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৩০
|-
|| ৪২ || [[রন্ধনপ্রণালী:কুমড়োর ছেঁচকি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৫৮
|-
|| ৪৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:এঁচোড়ের বিরিয়ানি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৪৫৭
|-
|| ৪৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:কুমড়ো ভাপা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২০৩
|-
|| ৪৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:কুদরির তরকারি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২১৬
|-
|| ৪৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:বোয়াল মাছের কষা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩২০
|-
|| ৪৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:শিং মাছ ভুনা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২০৭
|-
|| ৪৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:বোয়াল মাছের তেল ঝাল]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩১১
|-
|| ৪৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:ঢেঁড়স আলুর তরকারি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৭৪
|-
|| ৫০ || [[রন্ধনপ্রণালী:চন্দ্রপুলি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৮৫
|-
|| ৫১ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/সিস্টেম উপস্থাপন]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৬৩
|-
|| ৫২ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/সিস্টেম মডেলিং]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১২৩৯
|-
|| ৫৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:মোহন ভোগ মিষ্টি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৪৭৫
|-
|| ৫৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:বৈকুন্ঠ ভোগ মিষ্টি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৫০
|-
|| ৫৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:দিলখুশ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৩৮
|-
|| ৫৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:আমসত্ত্ব সন্দেশ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২০৩
|-
|| ৫৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:পাকা আমের কালাকান্দ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩১৯
|-
|| ৫৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:ইলিশ পেটি সন্দেশ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩০৭
|-
|| ৫৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:মতিচুরের পায়েস]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২০৯
|-
|| ৬০ || [[রন্ধনপ্রণালী:মনোহরা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩০৫
|-
|| ৬১ || [[রন্ধনপ্রণালী:মেচা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৪৭
|-
|| ৬২ || [[রন্ধনপ্রণালী:কলার থোড়ের ঘন্ট]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৬৫
|-
|| ৬৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:হালিম]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৪৭৬
|-
|| ৬৪ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/আধুনিক নিয়ন্ত্রণ]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ১১৩
|-
|| ৬৫ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/টারবাইন ব্লেডের শব্দ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৯৮৬
|-
|| ৬৬ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/বেসেল ফাংশন ও কেটলড্রাম]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১১৫৫
|-
|| ৬৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:কলার থোড়ের চচ্চড়ি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৯৬
|-
|| ৬৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:ল্যাটা মাছের বাটি পোড়া]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৬৩
|-
|| ৬৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:ল্যাটা মাছের ঝাল]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৯৬
|-
|| ৭০ || [[রন্ধনপ্রণালী:মোচার পাতুরি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩২১
|-
|| ৭১ || [[রন্ধনপ্রণালী:শিউলি পাতার বড়া]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩০৬
|-
|| ৭২ || [[রন্ধনপ্রণালী:মোচার চপ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৭০
|-
|| ৭৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:ডুমুরের তরকারি]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৬২
|-
|| ৭৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:ঝিঙে বাটা]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৫৮
|-
|| ৭৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:মাছের ডিম ভাপা]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৭০
|-
|| ৭৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:কুমড়োর ছক্কা]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৬৪
|-
|| ৭৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:ঝিঙে জলবড়া]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৫৮
|-
|| ৭৮ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/রৈখিক সিস্টেম সমাধান]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৩৭৩
|-
|| ৭৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:বাসন্তী পোলাও]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৬৮
|-
|| ৮০ || [[রন্ধনপ্রণালী:কাতলা মাছের রেজালা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৪০৫
|-
|| ৮১ || [[রন্ধনপ্রণালী:শিম চিংড়ি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৩১
|-
|| ৮২ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/শৈলীর নির্দেশিকা]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৩৬৯
|-
|| ৮৩ || [[রাজনৈতিক যোগাযোগের উপাদান/সাধারণ নির্দেশিকা/শব্দ]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ১৩১
|-
|| ৮৪ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/বলকৃত দোলন (সাধারণ স্প্রিং-ভর সিস্টেম)]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ২৯৩
|-
|| ৮৫ || [[রাজনৈতিক যোগাযোগের উপাদান/সাধারণ নির্দেশিকা/গুরুত্ব]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ১৪২
|-
|| ৮৬ || [[রাজনৈতিক যোগাযোগের উপাদান/সাধারণ নির্দেশিকা/বিন্যাস]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ২২১
|-
|| ৮৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:ঝিঙে আলু পোস্ত]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৮৬
|-
|| ৮৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:দইয়ের মালপোয়া]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৯৭
|-
|| ৮৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:মানকচুর জিলিপি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৪১
|-
|| ৯০ || [[রন্ধনপ্রণালী:মিষ্টি কুমড়ার পায়েস]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৮৯
|-
|| ৯১ || [[রন্ধনপ্রনালী:শিমের ঝাল]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৪০
|-
|| ৯২ || [[রন্ধনপ্রনালী:শিম পোস্ত]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৯৬
|-
|| ৯৩ || [[রন্ধনপ্রনালী:শিমের ঝোল]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৮৪
|-
|| ৯৪ || [[রন্ধনপ্রনালী:শিম বেগুনের তরকারি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩১৩
|-
|| ৯৫ || [[রাজনৈতিক যোগাযোগের উপাদান/ডিজিটাল মিডিয়া নির্দেশিকা/ওয়েবসাইট]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৫২২
|-
|| ৯৬ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/সমাধান পদ্ধতি: তড়িৎ-যান্ত্রিক সাদৃশ্য]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৪০৮
|-
|| ৯৭ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/সমতল তরঙ্গের প্রতিফলন ও সঞ্চালন]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৭০৬
|-
|| ৯৮ || [[রাজনৈতিক যোগাযোগের উপাদান/সাধারণ নির্দেশিকা/সংক্ষিপ্ততা]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ১৩৩
|-
|| ৯৯ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/অবমন্দিত যান্ত্রিক সিস্টেমের বৈশিষ্ট্যনির্ণয়]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৫৯৭
|-
|| ১০০ || [[উইকিশৈশব:কণা/পদার্থের তিন দশা]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৮৮
|-
|| ১০১ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/সমতলীয় তরঙ্গের প্রতিফলন ও সঞ্চালন]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৭৩৩
|-
|| ১০২ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/তড়িৎ-যান্ত্রিক সাদৃশ্যের সমাধান পদ্ধতি]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৪৪১
|-
|| ১০৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:ছানার পাতুরি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩৪৯
|-
|| ১০৪ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/তড়িৎ-যান্ত্রিক সাদৃশ্য]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৯৬৭
|-
|| ১০৫ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/ফিল্টার ডিজাইনের প্রস্তাবনা]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২১০
|-
|| ১০৬ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/সীমান্ত শর্তাবলী ও বলকৃত কম্পন]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৯৫৯
|-
|| ১০৭ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/চলন্ত অনুরণক]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ১৫৯
|-
|| ১০৮ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/অরৈখিকতার শব্দীয় পরামিতি]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ১০৪৫
|-
|| ১০৯ || [[উইকিশৈশব:কণা/কণার মডেল]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৩৯৬
|-
|| ১১০ || [[উইকিশৈশব:কণা/গ্যাসের চাপ]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৬৭৫
|-
|| ১১১ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/সীমান্ত শর্তাবলী ও তরঙ্গের বৈশিষ্ট্য]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৭৭৫
|-
|| ১১২ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিংড়ি মুসুড়ি ভর্তা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩২০
|-
|| ১১৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:গোলবাড়ির মাংস]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৪৫৯
|-
|| ১১৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:মাটনের কবিরাজি কাটলেট]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৪২৩
|-
|| ১১৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:ভেটকি মাছের কবিরাজি কাটলেট]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩৫০
|-
|| ১১৬ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/ফাইল এক্সটেনশন দেখানো/লুকানো]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৩৪৪
|-
|| ১১৭ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/সুইফট ভেরিয়েবল উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২৪২
|-
|| ১১৮ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/সি-শার্প ভেরিয়েবল উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২৮০
|-
|| ১১৯ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/পর্যালোচনা: ফাউন্ডেশন টপিকস গ্রুপ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৪৬
|-
|| ১২০ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিংড়ি কাবাব]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৮৩
|-
|| ১২১ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/অনুশীলন: অবজেক্ট-ওরিয়েন্টেড প্রোগ্রামিং]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৪২৪
|-
|| ১২২ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/অবজেক্ট-ওরিয়েন্টেড প্রোগ্রামিং]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৬১
|-
|| ১২৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:তেঁতুলে চিংড়ি]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩৩৯
|-
|| ১২৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:ভেটকি রোস্ট]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩৭৮
|-
|| ১২৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:তেল কই]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৮৯
|-
|| ১২৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:বোরোলি মাছের পাতুরি]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৬৯
|-
|| ১২৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:শসা চিংড়ির কারি]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৫৭
|-
|| ১২৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:বোরোলি মাছের তেল-ঝাল]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৮৯
|-
|| ১২৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:কই মাছের হরগৌরী]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩৫৫
|-
|| ১৩০ || [[রন্ধনপ্রনালী:টঙ্কা তোরানি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৭৮
|-
|| ১৩১ || [[রন্ধনপ্রনালী:কাঁচা আম দিয়ে পটলের চচ্চড়ি]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৫৭
|-
|| ১৩২ || [[রন্ধনপ্রনালী:ভেটকি মাছের চারমৌলি]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৬১
|-
|| ১৩৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিংড়ি পোস্তো]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৬৪
|-
|| ১৩৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:গলদা চিংড়ি রসা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৯২
|-
|| ১৩৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিতল মাছের তেল ঝাল]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৬১
|-
|| ১৩৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিতল মাছের কালিয়া]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩৩৯
|-
|| ১৩৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিতল মাছের রসা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৮২
|-
|| ১৩৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:তন্দুরি চিংড়ি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩৬০
|-
|| ১৩৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:এঁচড় চিংড়ি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৯৪
|-
|| ১৪০ || [[রন্ধনপ্রণালী:ইলিশ কাবাব]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩১৩
|-
|| ১৪১ || [[রন্ধনপ্রণালী:ইলিশ মাছের মালাইকারি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৩৫
|-
|| ১৪২ || [[রন্ধনপ্রনালী:আমের ফিরনি]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৬৯
|-
|| ১৪৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিংড়ি কচু]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ৩০০
|-
|| ১৪৪ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/সিলেকশন কন্ট্রোল স্ট্রাকচার]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৪৭৩
|-
|| ১৪৫ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/পর্যালোচনা: উন্নত বিষয় গ্রুপ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৪৫
|-
|| ১৪৬ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/গুরুত্বপূর্ণ প্রাথমিক চলকসমূহ]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৭৩৯
|-
|| ১৪৭ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/ইউনারি অপারেশন]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৬৯২
|-
|| ১৪৮ || [[রন্ধনপ্রনালী:খস খস শরবত]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৪০
|-
|| ১৪৯ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/প্যারামিটার এবং আর্গুমেন্ট]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৭৫৪
|-
|| ১৫০ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/পর্যালোচনা: মডুলার প্রোগ্রামিং গ্রুপ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৪৬
|-
|| ১৫১ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/পর্যালোচনা: স্ট্রাকচার্ড প্রোগ্রামিং গ্রুপ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৬৮
|-
|| ১৫২ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিতল মাছের মুইঠ্যা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৩৩
|-
|| ১৫৩ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/ফিল্টার ডিজাইনের রূপরেখা]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৯১
|-
|| ১৫৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:ভেটকি বেগম বাহার]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩২১
|-
|| ১৫৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:ফুলকপি সর্ষে]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৩৭
|-
|| ১৫৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:বোরোলি মাছের চচ্চড়ি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৩১
|-
|| ১৫৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:বোরোলি মাছের ঝোল]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩১৫
|-
|| ১৫৮ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/অনুশীলন: স্ট্রিং এবং ফাইল]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ১৪৮৫
|-
|| ১৫৯ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/অ্যারে অনুসন্ধান]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৫২৫
|-
|| ১৬০ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিংড়ি কাসুন্দি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৭২
|-
|| ১৬১ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিংড়ি মুগের ডাল]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৮৪
|-
|| ১৬২ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/অনুশীলন: স্ট্যান্ডার্ড লাইব্রেরি]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৫১১
|-
|| ১৬৩ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/ফাংশনের জন্য স্যুডোকোড উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ২২৫
|-
|| ১৬৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:সাদা ইলিশ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৭৩
|-
|| ১৬৫ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/অনুশীলন: নির্দিষ্ট কাজের ফাংশন]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৬৮১
|-
|| ১৬৬ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/স্ট্যান্ডার্ড লাইব্রেরি]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ১১২০
|-
|| ১৬৭ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/রিটার্ন স্টেটমেন্ট]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৫৮৬
|-
|| ১৬৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:কলমি চিংড়ি ভাজা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৭৬
|-
|| ১৬৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:রন্ধনপ্রণালী:ভেটকি পোস্তো]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৬৪
|-
|| ১৭০ || [[রন্ধনপ্রণালী:খেজুর চিংড়ি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৮৮
|-
|| ১৭১ || [[রন্ধনপ্রণালী:ইলিশ মাছের মুড়িঘন্ট]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৩৮
|-
|| ১৭২ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিংড়ি মাছের ঘুগনি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩১৩
|-
|| ১৭৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:আম চিংড়ী]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৩৪
|-
|| ১৭৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিংড়ি মধুক্ষীরা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৫৯
|-
|| ১৭৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:শিংমাছে করোলা চচ্চড়ি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৯০
|-
|| ১৭৬ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/নেস্টেড ইফ দেন এলস]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৪৯৩
|-
|| ১৭৭ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/বহুমাত্রিক অ্যারে]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৬৭৮
|-
|| ১৭৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:লাউপাতার খিলিতে কাচকি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩১৫
|-
|| ১৭৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:রুপচাদা দোপেঁয়াজা]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩১৬
|-
|| ১৮০ || [[রন্ধনপ্রণালী:মাছের ডিমের পুঁইখিলি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৬৭
|-
|| ১৮১ || [[রন্ধনপ্রণালী:কই মাছের দোপেঁয়াজা]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৮৪
|-
|| ১৮২ || [[রন্ধনপ্রণালী:দোমাছা]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৮১
|-
|| ১৮৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:গোকুল পিঠে]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৬৯
|-
|| ১৮৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:ছানা গজা]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৭১
|-
|| ১৮৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:ছানাবড়া]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩৩৭
|-
|| ১৮৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:রসাবলী]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৩৬
|-
|| ১৮৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:সাগর দই]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৮১
|-
|| ১৮৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:ছানার জিলিপি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৬৭
|-
|| ১৮৯ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/মডুলার প্রোগ্রামিং]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ২১৫৪
|-
|| ১৯০ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/ইনপুট-প্রসেস-আউটপুট মডেল]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৪৮৩
|-
|| ১৯১ || [[রন্ধনপ্রণালী:পেঁয়াজের পায়েস]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৬৬
|-
|| ১৯২ || [[রন্ধনপ্রণালী:মালাই সন্দেশ]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২১২
|-
|| ১৯৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:রাজভোগ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩১৪
|-
|| ১৯৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:সজনে ফুল ভাজি]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২৩৪
|-
|| ১৯৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:নটিশাক]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২২৪
|-
|| ১৯৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:ঘি ভাত]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২৭৪
|-
|| ১৯৭ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/হায়ারার্কি বা স্ট্রাকচার চার্ট]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩৬৪
|-
|| ১৯৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:ঘন দুধের সন্দেশ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩৭৩
|-
|| ১৯৯ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/আইডেন্টিফায়ারের নাম]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৪১১
|-
|| ২০০ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/ইনপুট এবং আউটপুট]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ৪৩২
|-
|| ২০১ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/ফাইল ইনপুট এবং আউটপুট]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ১৯৫৫
|-
|| ২০২ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/ব্রাঞ্চিং স্টেটমেন্ট]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ২১৫০
|-
|মোট পাতা:||২০২||মোট শব্দ:||৮১৩৮৫
|}
== [[বাবহারকারী:Firuz Ahmmed|Firuz Ahmmed]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|| ১ || [[জাপানের ইতিহাস: পুরাণ থেকে জাতিসত্ত্বা/মেইজি যুগ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩১৯৩
|-
|| ২ || [[জাপানের ইতিহাস: পুরাণ থেকে জাতিসত্ত্বা/দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩০০২
|-
|| ৩ || [[জাপানের ইতিহাস: পুরাণ থেকে জাতিসত্ত্বা/এদো যুগ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩০৩৭
|-
|| ৪ || [[জাপানের ইতিহাস: পুরাণ থেকে জাতিসত্ত্বা/কেম্মু পুনরুদ্ধার]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১২৯১
|-
|| ৫ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/উদারবাদ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৪৩১
|-
|| ৬ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/মার্ক্স ও মার্ক্সবাদীরা]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২৬২
|-
|| ৭ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/যুক্তিবিদ্যা/আনুষ্ঠানিক যুক্তি]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৪৮
|-
|| ৮ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/অতীন্দ্রিয়বাদী ধর্মতত্ত্ব ও অতীন্দ্রিয়বাদ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২২০
|-
|| ৯ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/বিজ্ঞান দর্শন]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৫০৪
|-
|| ১০ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/নকশা/নথির বিন্যাস]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৬৯৭
|-
|| ১১ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/প্রাথমিক ধারণা/পুনর্লিখন]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২২১৯
|-
|| ১২ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/স্টেট ফিডব্যাক]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৭৮৫
|-
|| ১৩ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/ওপেন সোর্স টুল/জুলিয়া]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ৪১৮
|-
|| ১৪ || [[ত্রিমাত্রিক মুদ্রণ/রক্ষণাবেক্ষণ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৬
|-
|| ১৫ || [[ত্রিমাত্রিক মুদ্রণ/ইতিহাস]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৯২
|-
|| ১৬ || [[ত্রিমাত্রিক মুদ্রণ/ব্যবহৃত উপকরণ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩৫৮
|-
|| ১৭ || [[ত্রিমাত্রিক মুদ্রণ/উন্নয়ন]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ২২
|-
|| ১৮ || [[ত্রিমাত্রিক মুদ্রণ/রঙিন মুদ্রণ]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ১৩৫
|-
|| ১৯ || [[ত্রিমাত্রিক মুদ্রণ/প্রয়োগসমূহ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৭৫
|-
|| ২০ || [[ত্রিমাত্রিক মুদ্রণ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১১৯
|-
|| ২১ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/কক্ষের মৌলিক শব্দীয় ব্যবস্থাপনা]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৮৯২
|-
|| ২২ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/কম্পিউটার মডেল/দেহসংবেদী তন্ত্র সিমুলেশন]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৮৯৪
|-
|| ২৩ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/মারিম্বার মৌলিক শব্দবিজ্ঞান]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৯৬৬
|-
|| ২৪ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/মাইক্রোফোন কৌশল]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৪৫০
|-
|| ২৫ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/অনুমানকারী ও পর্যবেক্ষক]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৮৯০
|-
|| ২৬ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/ঘ্রাণতন্ত্র/সংবেদী অঙ্গ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৭০
|-
|| ২৭ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/রোটার-স্টেটর মিথস্ক্রিয়া]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৫২৩
|-
|| ২৮ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/শব্দতরঙ্গের অ্যাটেনুয়েশন]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৬৩৪
|-
|| ২৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:মিল্লি ভাত]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৪৪২
|-
|| ৩০ || [[কোয়ান্টাম জগৎ/প্রভাব ও প্রয়োগ/অস্পষ্ট অবস্থান কীভাবে আরও অস্পষ্ট হয়]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ২৭৪
|-
|| ৩১ || [[কোয়ান্টাম জগৎ/প্রভাব ও প্রয়োগ/সময়স্বাধীন শ্রোডিনগার সমীকরণ]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৮৫
|-
|| ৩২ || [[কানাডায় শরনার্থী প্রক্রিয়া/আচরণবিধি]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ১৮৪৫
|-
|| ৩৩ || [[উইকিশৈশব:চলো নাইকার গুহাতে স্ফটিকীকরণ নিয়ে কথা বলি/১৫ - এখন তুমি জানো কীভাবে স্ফটিক তৈরি হয়েছে]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৬৯
|-
|| ৩৪ || [[উইকিশৈশব:চলো নাইকার গুহাতে স্ফটিকীকরণ নিয়ে কথা বলি/১৪ - উভয় গুহায় তাপমাত্রা]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৮৪
|-
|| ৩৫ || [[উইকিশৈশব:চলো নাইকার গুহাতে স্ফটিকীকরণ নিয়ে কথা বলি/১৩ - স্ফটিকের গুহায় স্ফটিক গঠন]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৯৯
|-
|| ৩৬ || [[উইকিশৈশব:চলো নাইকার গুহাতে স্ফটিকীকরণ নিয়ে কথা বলি/১১ - অণুগুলো স্তরে স্তরে একত্রিত হয়]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৮১
|-
|| ৩৭ || [[উইকিশৈশব:চলো নাইকার গুহাতে স্ফটিকীকরণ নিয়ে কথা বলি/১০ - জিপসাম স্ফটিকের পরমাণু ও অণু]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৯০
|-
|| ৩৮ || [[উইকিশৈশব:চলো নাইকার গুহাতে স্ফটিকীকরণ নিয়ে কথা বলি/৮ - কাচ ও স্ফটিকের অণু]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৮৩
|-
|| ৩৯ || [[উইকিশৈশব:চলো নাইকার গুহাতে স্ফটিকীকরণ নিয়ে কথা বলি/৭ - সবকিছু পরমাণু দিয়ে গঠিত]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৭৭
|-
|| ৪০ || [[উইকিশৈশব:চলো নাইকার গুহাতে স্ফটিকীকরণ নিয়ে কথা বলি/৬ - কাচ ও স্ফটিক]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৭৩
|-
|| ৪১ || [[উইকিশৈশব:চলো নাইকার গুহাতে স্ফটিকীকরণ নিয়ে কথা বলি/৫ - উভয় গুহায় জিপসাম স্ফটিক]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৬৭
|-
|| ৪২ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/জেফারসনীয় গণতন্ত্র]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ২১২০
|-
|| ৪৩ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/ধর্মীয় আন্দোল]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৯৩৯
|-
|| ৪৪ || [[উইকিশৈশব:চলো নাইকার গুহাতে স্ফটিকীকরণ নিয়ে কথা বলি/৪ - স্ফটিকের গুহা]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৭০
|-
|| ৪৫ || [[উইকিশৈশব:চলো নাইকার গুহাতে স্ফটিকীকরণ নিয়ে কথা বলি/২ - নাইকার গুহাসমূহ]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৬৬
|-
|| ৪৬ || [[উইকিশৈশব:চলো নাইকার গুহাতে স্ফটিকীকরণ নিয়ে কথা বলি/৩ - তরবারির গুহা]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৬৮
|-
|| ৪৭ || [[কোয়ান্টাম জগৎ/প্রভাব ও প্রয়োগ/সম্ভাব্যতার প্রবাহ]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৩৪৯
|-
|| ৪৮ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/দৃষ্টিতন্ত্র/চিত্র প্রক্রিয়াকরণ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৭৬০
|-
|| ৪৯ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/সিস্টেম ডেভেলপমেন্ট লাইফ সাইকেল]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৫৫১
|-
|| ৫০ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/স্ট্রাকচার্ড প্রোগ্রামিং]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৬৭৪
|-
|| ৫১ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/সি++ ভেরিয়েবল উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৫৬০
|-
|| ৫২ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/জাভা ভেরিয়েবল উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৪৫৯
|-
|| ৫৩ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/টাইপডেফ সহ বহুমুখী কোড]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৪৩০
|-
|| ৫৪ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/গেইন]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৫১
|-
|| ৫৫ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/অনুশীলন: লুপের আগে পরীক্ষা]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৪৬০
|-
|| ৫৬ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/স্যুডোকোড]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৩৫৬
|-
|| ৫৭ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/ফ্ল্যাগ ধারণা/ওশেনিয়ার ফ্ল্যাগ]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ২৮
|-
|| ৫৮ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/ঘ্রাণতন্ত্র/সংবেদী অঙ্গের উপাদান]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৭৯৩
|-
|| ৫৯ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/স্নায়ুসংবেদী ইমপ্লান্ট/দৃষ্টি ইমপ্লান্ট]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৮৯
|-
|| ৬০ || [[মাধ্যমিক পদার্থবিজ্ঞান/সংক্ষিপ্ত দৃষ্টিপাত]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৪৮০
|-
|| ৬১ || [[মাধ্যমিক পদার্থবিজ্ঞান/পদার্থবিজ্ঞান পরীক্ষা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৮৪
|-
|| ৬২ || [[মাধ্যমিক পদার্থবিজ্ঞান/নিউটনের আপেল]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৭১
|-
|| ৬৩ || [[মাধ্যমিক পদার্থবিজ্ঞান/ঘূর্ণন গতি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৬৭
|-
|| ৬৪ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/ম্যানাকিন পাখির অনুরণিত পালক]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৬৯৪
|-
|| ৬৫ || [[মাধ্যমিক পদার্থবিজ্ঞান/সহজ দোলন]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৯৬
|-
|| ৬৬ || [[মাধ্যমিক পদার্থবিজ্ঞান/তরঙ্গ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৮৭
|-
|| ৬৭ || [[মাধ্যমিক পদার্থবিজ্ঞান/বেগ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৯৬
|-
|| ৬৮ || [[মাধ্যমিক পদার্থবিজ্ঞান/মহাকর্ষ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৬৬
|-
|| ৬৯ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/কক্ষ শব্দবিজ্ঞান ও কনসার্ট হল]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৬২৬
|-
|| ৭০ || [[রন্ধনপ্রণালী:চপ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৪৯
|-
|| ৭১ || [[রন্ধনপ্রণালী:কাচকি মাছ ভাজি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩১৫
|-
|| ৭২ || [[রন্ধনপ্রণালী:কাচকি মাছের চচ্চড়ি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৭৮
|-
|| ৭৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:লেটুস পাতা ভাজি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩২১
|-
|| ৭৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:সজনে পাতার ভাজি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৩৪
|-
|| ৭৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:কচুর লতি ভাজি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৩০
|-
|| ৭৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:ময়দার নুডলস]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৪৮১
|-
|| ৭৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:কাঁচকলার ডালনা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৭৭
|-
|| ৭৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:টক দই চাট]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩২৩
|-
|| ৭৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:ডালের চচ্চড়ি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৯৬
|-
|| ৮০ || [[রন্ধনপ্রণালী:সবজি মিক্স চপ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৫৩
|-
|| ৮১ || [[রন্ধনপ্রণালী:সবজির স্যান্ডউইচ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩১৫
|-
|| ৮২ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/গাড়ির মাফলার]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৯৪৮
|-
|| ৮৩ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/গাড়ির মাফলার: অ্যানিমেশন]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৬৪
|-
|| ৮৪ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/ডিজিটাল সিস্টেম]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১১৯
|-
|| ৮৫ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/সোনার]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৪৪
|-
|| ৮৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:লাল শাক ভর্তা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৪২৬
|-
|| ৮৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:আনারসের আচারি চিকেন]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৫৭৫
|-
|| ৮৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:মিষ্টি কুমড়ার চচ্চড়ি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৪৫৪
|-
|| ৮৯ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/শব্দের গতি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৪৪৪
|-
|| ৯০ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/স্বররজ্জু]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৫৯২
|-
|| ৯১ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/বজ্রপাতের শব্দবিজ্ঞান]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১০৯৪
|-
|| ৯২ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/কর্ণের যান্ত্রিক মডেলিং]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩৯
|-
|| ৯৩ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/উদাহরণসমূহ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩৩
|-
|| ৯৪ || [[কোয়ান্টাম জগৎ/আপেক্ষিকতা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৪৯৩
|-
|| ৯৫ || [[কোয়ান্টাম জগৎ/পরমাণু]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ৮২৯
|-
|| ৯৬ || [[তড়িৎচৌম্বকীয় বিকিরণ/অবলোহিত রশ্মি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১২৩
|-
|| ৯৭ || [[তড়িৎচৌম্বকীয় বিকিরণ/পরিমাপের এককসমূহ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩১০
|-
|| ৯৮ || [[তড়িৎচৌম্বকীয় বিকিরণ/বেতার তরঙ্গ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৪১০
|-
|| ৯৯ || [[তড়িৎচৌম্বকীয় বিকিরণ/বর্ণালীর ব্যান্ডসমূহ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৮৮
|-
|| ১০০ || [[তড়িৎচৌম্বকীয় বিকিরণ/ভূমিকা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৩০
|-
|| ১০১ || [[তড়িৎচৌম্বকীয় বিকিরণ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৬
|-
|| ১০২ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিংড়ি-মুগডালের খিচুড়ি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩২৮
|-
|| ১০৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:দই বড়া]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৪২
|-
|| ১০৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:ডিমের স্যান্ডউইচ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২০৮
|-
|| ১০৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:কাঁচা আম ভর্তা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৯৩
|-
|| ১০৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:লাল শাক ভাজি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২১৮
|-
|| ১০৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:মাছের কোপ্তা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩০৪
|-
|| ১০৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:সাদা পোলাও]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২২৮
|-
|| ১০৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:ডালের বড়া]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২০৭
|-
|| ১১০ || [[রন্ধনপ্রণালী:দুধ পিঠা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৫৬৯
|-
|| ১১১ || [[রন্ধনপ্রণালী:পুঁই শাক]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৪৪১
|-
|| ১১২ || [[রন্ধনপ্রণালী:নেহারি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৬৪৪
|-
|| ১১৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:কাঁচা কলা ভাজি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৫৫
|-
|| ১১৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:কচুশাক]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৫২৯
|-
|| ১১৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:কলমি শাক]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩১৮
|-
|| ১১৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:লাল শাক]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৫৩
|-
|| ১১৭ || [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/গতিশক্তি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১১২
|-
|| ১১৮ || [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/তরল]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ২৯০
|-
|| ১১৯ || [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/বৃত্তাকার গতি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৩১
|-
|| ১২০ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/কম্পাইলার ডিরেক্টিভ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৪৫৭
|-
|| ১২১ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/নেস্টেড লুপ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৬২৬
|-
|| ১২২ || [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/পদার্থবিজ্ঞানের ধ্রুবক]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৪৫
|-
|| ১২৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিংড়ি ভাজা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৮৪
|-
|| ১২৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:ডিমের ঝোল]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৯৮
|-
|| ১২৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিকেন সালাদ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২০৬
|-
|| ১২৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:ডিম সালাদ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৬০
|-
|| ১২৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:মাছের চপ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৫৯
|-
|| ১২৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:ডিম স্যুপ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৪৬
|-
|| ১২৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:সাদা সেমাই]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৬২
|-
|| ১৩০ || [[রন্ধনপ্রণালী:বিফ বার্গার]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৮৪
|-
|| ১৩১ || [[রন্ধনপ্রণালী:সবজি পরোটা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩১৮
|-
|| ১৩২ || [[রন্ধনপ্রণালী:টমেটো ভর্তা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৯৯
|-
|| ১৩৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:সবজি চপ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩০০
|-
|| ১৩৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:দুধ চিঁড়া]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৪৭
|-
|| ১৩৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:ডিম কারি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৫০
|-
|| ১৩৬ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/এল-ভ্যালু এবং আর-ভ্যালু]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৪৫৬
|-
|| ১৩৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:বুটের ঘুগনি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩২৪
|-
|| ১৩৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:মোগলাই পরোটা]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৫৭৪
|-
|| ১৩৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:বোয়াল মাছের ঝোল]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৩৬
|-
|| ১৪০ || [[রন্ধনপ্রণালী:মাগুর মাছের কালিয়া]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৮৭
|-
|| ১৪১ || [[রন্ধনপ্রণালী:রুই মাছের কালিয়া]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৪৭
|-
|| ১৪২ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/টাইপডেফ - একটি উপনাম]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৪৬
|-
|| ১৪৩ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/স্ট্রিং এবং ফাইল]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ১৯১
|-
|| ১৪৪ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/স্ট্রিং ফাংশন]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৬৭
|-
|| ১৪৫ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/স্ট্রিং ফরম্যাটিং]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৯২
|-
|| ১৪৬ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/সুইফট স্ট্রিং উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৪৭০
|-
|| ১৪৭ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/জাভাস্ক্রিপ্ট স্ট্রিং উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৪০১
|-
|| ১৪৮ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/জাভা স্ট্রিং উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৪৪৪
|-
|| ১৪৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:তেলাপিয়া মাছের ভর্তা]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২৪১
|-
|| ১৫০ || [[রন্ধনপ্রণালী:কাঠালের বিচির চচ্চড়ি]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৩৮
|-
|| ১৫১ || [[রন্ধনপ্রণালী:আমড়ার টক]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৩৩
|-
|| ১৫২ || [[রন্ধনপ্রণালী:আলু পুরি]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২৪৯
|-
|| ১৫৩ || [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/কাজ]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ৩৫২
|-
|| ১৫৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:পুরি]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ৩৫৮
|-
|| ১৫৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:পুঁটি মাছ ভাজা]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ১৯৭
|-
|| ১৫৬ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/অ্যারের সাহায্যে গণিত পরিসংখ্যান]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ৩১৯
|-
|| ১৫৭ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/লুপ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৪৪
|-
|| ১৫৮ || [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/স্থির তরঙ্গ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৩৯
|-
|| ১৫৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:লাল চা]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ১৯৭
|-
|| ১৬০ || [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/ইলেকট্রনিক্স]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৭৮৪
|-
|| ১৬১ || [[রন্ধনপ্রণালী:কাঁচা মরিচ ভর্তা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩০৪
|-
|| ১৬২ || [[রন্ধনপ্রণালী:পেঁয়াজ ভর্তা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৮৭
|-
|| ১৬৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:শুকনা মরিচ ভর্তা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৫০
|-
|| ১৬৪ || [[সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/খেলার সমাজবিজ্ঞান]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২৩১
|-
|| ১৬৫ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/ইটারেশন কন্ট্রোল স্ট্রাকচার]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৯৭
|-
|| ১৬৬ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/সুইফট ফাংশন উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৩০
|-
|| ১৬৭ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/স্থির এবং ডাইনামিক অ্যারে]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৫৯
|-
|| ১৬৮ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/অ্যারে সদস্য প্রদর্শন]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ৩৯৫
|-
|| ১৬৯ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/সুইফট শর্তের উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৩৫৮
|-
|| ১৭০ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/ফাংশন]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ১২৭
|-
|| ১৭১ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/ASCII ক্যারেক্টার সেট]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৯৮
|-
|| ১৭২ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/নিজের জ্ঞান যাচাইয়ের উত্তরমালা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৬৫
|-
|মোট পাতা:||১৭২||মোট শব্দ:||৭২১৩৩
|}
== [[বাবহারকারী:Md Mobashir Hossain|Md Mobashir Hossain]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|| ১ || [[অতীন্দ্রিয়বাদ/প্রার্থনা]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ১৬৪৫
|-
|| ২ || [[রন্ধনপ্রণালী:মাকুন্দা পিঠা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৬৮
|-
|| ৩ || [[উইকিশৈশব:গ্ৰাফিতিতে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান/ওই মামা না প্লিজ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১০৯
|-
|| ৪ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/ব্যবসায়িক যোগাযোগ/শুরু]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৩২৩
|-
|| ৫ || [[উইকিশৈশব:গ্ৰাফিতিতে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান/কারার ঐ লৌহকপাট]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৩৬
|-
|| ৬ || [[কোয়ান্টাম জগৎ/প্রভাব ও প্রয়োগ/একটি কোয়ান্টাম বাউন্সিং বল]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২৩৬
|-
|| ৭ || [[চিন্তন ও নির্দেশনা/ভূমিকা]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ৩১৯
|-
|| ৮ || [[কোয়ান্টাম জগৎ/ফেইনম্যান রুট/শেষে শ্রোডিনগার]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২৪৯
|-
|| ৯ || [[উইকিশৈশব:গ্ৰাফিতিতে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান/জেন জি]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৪৭
|-
|| ১০ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/পরিচিতি]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৫৪
|-
|| ১১ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/ভূমিকা]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৯২
|-
|| ১২ || [[উইকিশৈশব:গ্ৰাফিতিতে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান/পানি লাগবে]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৫৫
|-
|| ১৩ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/ঘ্রাণতন্ত্র/ফেরোমোন ও ভোমেরোনাসাল তন্ত্র]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩৬১
|-
|| ১৪ || [[কোয়ান্টাম জগৎ/সম্ভাব্যতা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৭৬৭
|-
|| ১৫ || [[কোয়ান্টাম জগৎ/অনির্দিষ্ট সমাকলন]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৫৯
|-
|| ১৬ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/শব্দীয় লেভিটেশন]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৬১২
|-
|| ১৭ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/বীমফর্মিং]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৩৫
|-
|| ১৮ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/শব্দীয় গিটার]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ৩৮৬
|-
|| ১৯ || [[কোয়ান্টাম জগৎ/ক্যালকুলাস]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৪০১
|-
|| ২০ || [[রন্ধনপ্রণালী:শিং মাছের ঝোল]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২২০
|-
|| ২১ || [[সাধারণ বলবিজ্ঞান/কঠিন বস্তু]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২১৬
|-
|| ২২ || [[রন্ধনপ্রণালী:ঢাকাই পরোটা]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২৮০
|-
|| ২৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:ফালুদা]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২৫৪
|-
|| ২৪ || [[সাধারণ বলবিজ্ঞান/আংশিক উৎপন্ন]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৩১৪
|-
|| ২৫ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/জাভাস্ক্রিপ্ট ভেরিয়েবল উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৫০৬
|-
|| ২৬ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/পাইথন ভেরিয়েবল উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৯৬
|-
|| ২৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:টাকি মাছ ভুনা]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২২৮
|-
|| ২৮ || [[সাধারণ বলবিজ্ঞান/স্থিতিবিদ্যা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৭০
|-
|| ২৯ || [[সাধারণ বলবিজ্ঞান/গতিবিদ্যার মৌলিক নীতিমালা]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৬৫১
|-
|| ৩০ || [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/শব্দ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৪৯০
|-
|| ৩১ || [[রন্ধনপ্রণালী:বিফ নুডলস]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৩৮
|-
|| ৩২ || [[মানব শারীরতত্ত্ব/রক্ত শারীরতত্ত্ব]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৪৫৪০
|-
|| ৩৩ || [[সাধারণ বলবিজ্ঞান/নিউটনের নিয়মের বিকল্প রূপ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৬২৯
|-
|| ৩৪ || [[সাধারণ বলবিজ্ঞান/নিউটনের নিয়ম ব্যবহার করে বিশ্লেষণ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৩২
|-
|| ৩৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:বিফ ভুনা]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৫৭
|-
|| ৩৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিকেন উইংস]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৯৭
|-
|| ৩৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিকেন ফ্রাই]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৩৮
|-
|| ৩৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:ডিমের পুরি]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ২৩৪
|-
|| ৩৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:লাচ্ছা সেমাই]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২০২
|-
|| ৪০ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিকেন নাগেট]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২১০
|-
|| ৪১ || [[রন্ধনপ্রণালী:পায়া]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৩২
|-
|| ৪২ || [[রন্ধনপ্রণালী:শিক কাবাব]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৬৬
|-
|| ৪৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:সর্ষে ইলিশ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৮৯
|-
|| ৪৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:বিফ রোল]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ১২৬
|-
|| ৪৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:রোল]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ১২৭
|-
|| ৪৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিকেন রোল]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৬৫
|-
|| ৪৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:সিঙ্গারা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৯৮
|-
|| ৪৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:লুচি]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৩৯
|-
|| ৪৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:ইলিশ ভাজা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১২২
|-
|| ৫০ || [[রন্ধনপ্রণালী:বেগুনি]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৬৭
|-
|| ৫১ || [[রন্ধনপ্রণালী:বিফ তন্দুরি]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৯৬
|-
|| ৫২ || [[রন্ধনপ্রণালী:মুরগির তন্দুরি]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৯৪
|-
|| ৫৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:ডিম ভুনা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৭৮
|-
|| ৫৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:ডিম পোচ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৪৯
|-
|| ৫৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:তেহারি]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২২২
|-
|| ৫৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:পুঁই শাক চচ্চড়ি]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৯৮
|-
|| ৫৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:পেঁয়াজু]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২০৫
|-
|| ৫৮ || [[লুইস ক্যারল/থ্রু দ্য লুকিং-গ্লাস]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২৮২
|-
|| ৫৯ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/সি++ অবজেক্ট উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২২৪
|-
|| ৬০ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/সি++ পরিচিতি উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২১২
|-
|| ৬১ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/জাভাস্ক্রিপ্ট লুপ উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২৯৬
|-
|| ৬২ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/পাইথন লুপ উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৯৩
|-
|| ৬৩ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/সি-শার্প লুপ উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২৪০
|-
|| ৬৪ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/সি++ লুপ উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২৭৯
|-
|| ৬৫ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/সি++ শর্তের উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৩১৩
|-
|| ৬৬ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/সি++ ফাংশন উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৩৩
|-
|| ৬৭ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/সি-শার্প ফাংশন উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১২৯
|-
|| ৬৮ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/পাইথন ফাংশন উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১১৯
|-
|| ৬৯ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/জাভা ফাংশন উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১২১
|-
|| ৭০ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/জাভাস্ক্রিপ্ট ফাংশন উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৮৫
|-
|| ৭১ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/পাইথন শর্তের উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৫৮
|-
|| ৭২ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/জাভাস্ক্রিপ্ট শর্তের উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ৩৪৭
|-
|| ৭৩ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/সি-শার্প শর্তের উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ২৮৪
|-
|| ৭৪ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/জাভা শর্তের উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ২৯২
|-
|| ৭৫ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৯৩
|-
|| ৭৬ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/সি-শার্প অ্যারে উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ৪০৪
|-
|| ৭৭ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/সি++ অ্যারে উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ৪৯৯
|-
|| ৭৮ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/জাভাস্ক্রিপ্ট অ্যারে উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:Maruf|Maruf]] || ৪২৬
|-
|| ৭৯ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/জাভা অ্যারে উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:Maruf|Maruf]] || ৩৯৫
|-
|| ৮০ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/পাইথন অ্যারে উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:Maruf|Maruf]] || ২৮৭
|-
|| ৮১ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/সি++ অপারেটরের সংক্ষিপ্ত অগ্রাধিকার তালিকা]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৪৮
|-
|মোট পাতা:||৮১||মোট শব্দ:||২৮১৮৮
|}
== [[বাবহারকারী:M.Asaduzzaman sahed|M.Asaduzzaman sahed]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|| ১ || [[সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/সমাজায়ন]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৫২৩
|-
|| ২ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/অন্বেষণ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৩৪৬
|-
|| ৩ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/কেনেডি এবং জনসন]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৫৭৯০
|-
|| ৪ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/ফোর্ড কার্টার রিগ্যান]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৫২২৭
|-
|| ৫ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/পশ্চিমমুখী সম্প্রসারণ এবং প্রকাশ্য নিয়তি]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৪০৩৭
|-
|| ৬ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/উন্নয়নসমূহ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২১৭৩
|-
|| ৭ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/প্রগতিশীল যুগ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২৬০৮
|-
|| ৮ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও পারমাণবিক যুগের উত্থান]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৪৬০২
|-
|| ৯ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/নিক্সন এবং ইন্দোচীন]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৪০০৯
|-
|| ১০ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/আমেরিকান বিপ্লব]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩২৩৪
|-
|| ১১ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/যুদ্ধ, জাতীয়তাবাদ ও বিভাজন]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৮২৭৯
|-
|| ১২ || [[মানব শারীরতত্ত্ব/অনাক্রম্যতন্ত্র]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৮৮৩২
|-
|| ১৩ || [[সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/রাজনীতি]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৩৩৬৮
|-
|| ১৪ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/পতঙ্গ/ঘ্রাণতন্ত্র]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৭২৩
|-
|| ১৫ || [[সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/প্রাতিষ্ঠানিক আচরণ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৯৭৪৯
|-
|| ১৬ || [[সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/গণমাধ্যম]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৬৫৮
|-
|| ১৭ || [[সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/প্রত্যপথগামিতা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৮৪৪
|-
|| ১৮ || [[সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/সামাজিক মনোবিজ্ঞান]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৯৪১০
|-
|| ১৯ || [[মানব শারীরতত্ত্ব/অনুভূতি]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৮৩০৮
|-
|| ২০ || [[সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/সামাজিক কাঠামো]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১০০৫
|-
|| ২১ || [[সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/স্তরীকরণ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৪১০২
|-
|| ২২ || [[সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/সমাজবিজ্ঞানের তত্ত্ব]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৪৭১৫
|-
|| ২৩ || [[সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/মানব বাস্তুসংস্থান ও পরিবেশ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৬০৩
|-
|| ২৪ || [[সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/গোষ্ঠী]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৬৫১৪
|-
|| ২৫ || [[লুইস ক্যারল/ভূমিকা]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ১৭৩
|-
|| ২৬ || [[লুইস ক্যারল/জ্যামিতি এবং যুক্তি]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ১৩৩
|-
|| ২৭ || [[লুইস ক্যারল/প্রাথমিক জীবন]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৪২২
|-
|| ২৮ || [[লুইস ক্যারল/রাজবংশ থেকে আগত]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২৬৩
|-
|| ২৯ || [[লুইস ক্যারল/বংশপরিচয়]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ১৫০১
|-
|| ৩০ || [[লুইস ক্যারল/অ্যালিস ইন ওয়ান্ডারল্যান্ড]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৪৬৪
|-
|| ৩১ || [[লুইস ক্যারল/শিশু বন্ধু ও প্রাপ্তবয়স্ক বন্ধু]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৯০১
|-
|মোট পাতা:||৩১||মোট শব্দ:||১০৮৫১৬
|}
== [[বাবহারকারী:Nettime Sujata|Nettime Sujata]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|| ১ || [[জাপানের ইতিহাস: পুরাণ থেকে জাতিসত্ত্বা/ভূমিকা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩০০৯
|-
|| ২ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/নৈতিকতা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৩৫১
|-
|| ৩ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/প্রশ্নোত্তর]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ১৭১৮
|-
|| ৪ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/শব্দীয় মাইক্রো পাম্প]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৯৫৩
|-
|| ৫ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/শব্দীয় গিটার কীভাবে কাজ করে]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৮৪৫
|-
|| ৬ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/শ্রবণ সুরক্ষা]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১১৮৪
|-
|| ৭ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/মাইক্রোফোন ডিজাইন ও পরিচালনা]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৮৯০
|-
|মোট পাতা:||৭||মোট শব্দ:||১১৯৫০
|}
== [[বাবহারকারী:Md.Farhan Mahmud|Md.Farhan Mahmud]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|| ১ || [[কোয়ান্টাম জগৎ/খেলা]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২১৫
|-
|মোট পাতা:||১||মোট শব্দ:||২১৫
|}
== [[বাবহারকারী:Salil Kumar Mukherjee|Salil Kumar Mukherjee]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|| ১ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/সূচিপত্র]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৪৭৫
|-
|| ২ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/মূল বিষয়সূচি]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩৯৪
|-
|| ৩ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/উৎস নথিভুক্তকরণ/MLA শৈলী পাদটীকা ও অন্তটীকা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩৬১
|-
|| ৪ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/উৎস নথিভুক্তকরণ/MLA শৈলী সংক্ষিপ্ত উদ্ধৃতি]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৭৩
|-
|| ৫ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/উৎস নথিভুক্তকরণ/APA শৈলী পাঠ্যভিত্তিক উদ্ধৃতি]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৬৪
|-
|| ৬ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/উৎস নথিভুক্তকরণ/পাঠ্যের মধ্যে উদ্ধৃতির অবস্থান]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৪২
|-
|| ৭ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/উৎস নথিভুক্তকরণ/উদ্ধৃতির মৌলিক নির্দেশিকা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৩০
|-
|| ৮ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/উৎস নথিভুক্তকরণ/সঠিক নথিভুক্তি নির্বাচন]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১২৪
|-
|| ৯ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৩৮
|-
|| ১০ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/উৎস নথিভুক্তকরণ/উৎস নথিভুক্তির কারণ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৭৮
|-
|| ১১ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/গ্রন্থের ইতিহাস]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩৯৫
|-
|| ১২ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/প্রাথমিক ধারণা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৭৩
|-
|| ১৩ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/উৎসর্গ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৪১
|-
|| ১৪ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/হাইড্রোলিক সিস্টেমে কোলাহল]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৭০০
|-
|| ১৫ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/অরৈখিক সিস্টেম]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৯০
|-
|মোট পাতা:||১৫||মোট শব্দ:||৫২৭৮
|}
== [[বাবহারকারী:Farihat Mahirah|Farihat Mahirah]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|| ১ || [[জাপানের ইতিহাস: পুরাণ থেকে জাতিসত্ত্বা/সামরিকতন্ত্রের উত্থান]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৩৭১
|-
|মোট পাতা:||১||মোট শব্দ:||৩৭১
|}
== [[বাবহারকারী:নিয়াজ ইসলাম|নিয়াজ ইসলাম]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|| ১ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/যুক্তিবিদ্যা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩২৬
|-
|| ২ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/যুক্তিবিদ্যা/ন্যান্ড ও নর]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ১৬৩
|-
|| ৩ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/সম্পাদনার জন্য উপকরণ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১২০
|-
|| ৪ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/পাতা উল্টানোর নির্দেশনা]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৩৫
|-
|| ৫ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/উৎস নথিভুক্তকরণ/MLA শৈলী]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৫৪
|-
|| ৬ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/উৎস নথিভুক্তকরণ/APA শৈলী]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১১৭
|-
|| ৭ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/উৎস নথিভুক্তকরণ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৬০
|-
|| ৮ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/প্রচ্ছদ]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ১৪০
|-
|| ৯ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/লেখক/MK]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৪৮
|-
|| ১০ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/যুক্তিবিদ্যা/গ্রন্থপঞ্জি]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৮৩
|-
|| ১১ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/যুক্তিবাদ]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ১১২
|-
|| ১২ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/দর্শন করা বলতে কী বোঝায়?]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১০০
|-
|| ১৩ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/জেন বৌদ্ধধর্ম]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ১৭৬
|-
|| ১৪ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/মানক ফর্ম]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৮০৭
|-
|| ১৫ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/লেখকবৃন্দ]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৩৮
|-
|| ১৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:মসুর ডাল]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২২৪
|-
|| ১৭ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/সূচীপত্র]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৯৬
|-
|| ১৮ || [[সাধারণ বলবিজ্ঞান/সূচক সংজ্ঞা]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ১৩২
|-
|| ১৯ || [[সাধারণ বলবিজ্ঞান/বহু কণার গতি]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ১০২
|-
|| ২০ || [[সাধারণ বলবিজ্ঞান/মাখের নীতি]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ১৯
|-
|| ২১ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/প্রচ্ছদ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৪
|-
|| ২২ || [[সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/সামরিক বাহিনী]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১২০
|-
|| ২৩ || [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ৯২
|-
|| ২৪ || [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/পদার্থবিজ্ঞানের উদ্দেশ্য]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৬
|-
|| ২৫ || [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/উদ্দেশ্য]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৬৩
|-
|| ২৬ || [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/ঘর্ষণ সহগ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১০১
|-
|| ২৭ || [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/ভরকেন্দ্র]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৪
|-
|| ২৮ || [[লুইস ক্যারল]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৪৫
|-
|| ২৯ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/ভূমিকা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৮২
|-
|| ৩০ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/শব্দকোষ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২১
|-
|| ৩১ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/হৃদযন্ত্র]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ২৫
|-
|| ৩২ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/স্বীকৃতি]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৩৬
|-
|| ৩৩ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৭২
|-
|| ৩৪ || [[তত্ত্ব শিখন/প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষণ: আন্তঃপ্রতিষ্ঠানিক]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৪৭৩
|-
|| ৩৫ || [[তত্ত্ব শিখন]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৯০
|-
|মোট পাতা:||৩৫||মোট শব্দ:||৫৬৪৬
|}
== [[বাবহারকারী:Parishexplorer|Parishexplorer]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|মোট পাতা:||০||মোট শব্দ:||০
|}
== [[বাবহারকারী:Ridnin Riz|Ridnin Riz]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|| ১ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/উৎস নথিভুক্তকরণ/MLA শৈলী সারণি ও চিত্র]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৪১৮
|-
|মোট পাতা:||১||মোট শব্দ:||৪১৮
|}
== [[বাবহারকারী:Sheikh Mehedi Hassan|Sheikh Mehedi Hassan]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|| ১ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/যুক্তিবিদ্যা/ভূমিকা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৭৫১
|-
|| ২ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/আধ্যাত্মিক অভিজ্ঞতা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩৪৬
|-
|| ৩ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/জ্ঞানতত্ত্ব কী?]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৪৪১
|-
|| ৪ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/যুক্তিবিদ্যা/ত্রুটি নির্ণয়]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৮০
|-
|| ৫ || [[দর্শনের সাথে পরিচয়/স্বাধীনতাবাদ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২২৭
|-
|| ৬ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/অলঙ্করণ/অলঙ্করণাল কাঠামো]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৬৩৪
|-
|| ৭ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/অলঙ্করণ/লেখক]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ১৩৪২
|-
|| ৮ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/নির্দেশাবলি/চিত্র]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৫২৭
|-
|| ৯ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/সম্পদ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৭৫৮
|-
|| ১০ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/অলঙ্করণ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১০৩৯
|-
|| ১১ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/অলঙ্করণ/শ্রোতা]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৫৬৬
|-
|| ১২ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/অলঙ্করণ/প্রসঙ্গ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৪৭০
|-
|| ১৩ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/অলঙ্করণ/বিষয়]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩৩৮
|-
|| ১৪ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/উৎস নথিভুক্তকরণ/APA শৈলী রেফারেন্স তালিকা]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৬১৯
|-
|| ১৫ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/ট্রান্সফার ফাংশন]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৬১৮
|-
|| ১৬ || [[পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/অলঙ্করণ/উদ্দেশ্য]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৯৬৭
|-
|| ১৭ || [[সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/সমাজবিজ্ঞানীয় পদ্ধতি]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ৪৭৩৪
|-
|| ১৮ || [[সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/বিশিষ্ট সমাজবিজ্ঞানী]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২০১
|-
|| ১৯ || [[মানব শারীরতত্ত্ব/নারী প্রজননতন্ত্র]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৭৫৫৪
|-
|| ২০ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/বেস রিফ্লেক্স এনক্লোজার ডিজাইন]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ১৪৫০
|-
|| ২১ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/কি-ওয়ার্ড]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৩৪
|-
|| ২২ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকার/মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টীকাযুক্ত সংবিধান]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ৫৮৭৮
|-
|| ২৩ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/ঔপনিবেশিক ধর্ম]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৪৪৩
|-
|| ২৪ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/তৃতীয় পক্ষ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৭৫২
|-
|| ২৫ || [[আইবি আমেরিকা ইতিহাস]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ১৩৪৪
|-
|| ২৬ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/ক্লারিনেটের শব্দবিজ্ঞান]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৭৪৬
|-
|| ২৭ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/ম্যাটল্যাব]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৪০৬
|-
|| ২৮ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/শক-তরঙ্গের গুণগত বর্ণনা]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৩৯০
|-
|| ২৯ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/বহিরাঙ্গনে শব্দ সঞ্চালন]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২০৯১
|-
|| ৩০ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/রূপান্তর পরিশিষ্ট]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৭২৭
|-
|| ৩১ || [[কোয়ান্টাম জগৎ/ফেইনম্যান রুট/কোয়ান্টাম থেকে ধ্রুপদী]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২১৫৮
|-
|| ৩২ || [[কোয়ান্টাম জগৎ/আপেক্ষিকতা/লরেন্জ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৭৬৯
|-
|| ৩৩ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/জুরি পরীক্ষা]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৮১৬
|-
|| ৩৪ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/শব্দচালিত সিস্টেম]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৬৭৮
|-
|| ৩৫ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/নাইকুইস্ট স্থিতিশীলতা মানদণ্ড]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১১৬৫
|-
|| ৩৬ || [[কোয়ান্টাম জগৎ/প্রভাব ও প্রয়োগ/পর্যবেক্ষণযোগ্য ও অপারেটর]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৪৮৯
|-
|| ৩৭ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস/গৃহযুদ্ধ]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৭৯৪৩
|-
|| ৩৮ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/আর্থ্রোপড/ম্যান্টিস চিংড়ি]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ৭৯৩
|-
|| ৩৯ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/পিজোইলেকট্রিক শব্দ সংবেদক]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১০১৩
|-
|| ৪০ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/সিলড বক্স সাবউফার ডিজাইন]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৮৪৯
|-
|| ৪১ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/শব্দকোষ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২২২৩
|-
|| ৪২ || [[কানাডায় শরনার্থী প্রক্রিয়া/এই লেখার সম্পর্কে]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১১৮৯
|-
|| ৪৩ || [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৮৬০
|-
|| ৪৪ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/পেশী]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৯৪৭
|-
|| ৪৫ || [[সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/সমাজবিজ্ঞানের ভিডিও]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ৬৪২
|-
|| ৪৬ || [[সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/কোর্স গ্রহণ]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২০
|-
|| ৪৭ || [[অতীন্দ্রিয়বাদ/আলোচনা]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৫৭১৯
|-
|| ৪৮ || [[সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/প্রযুক্তি, ইন্টারনেট ও ভার্চুয়াল জগৎ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৬৮৭
|-
|| ৪৯ || [[সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/বার্ধক্য]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২৬৫০
|-
|| ৫০ || [[রন্ধনপ্রণালী:বুটের ডাল]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২১৬
|-
|| ৫১ || [[রন্ধনপ্রণালী:মিষ্টি কুমড়ো ভাজি]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ২২৪
|-
|| ৫২ || [[রন্ধনপ্রণালী:শিমের দানা ভুনা]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ২৬০
|-
|| ৫৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:ঢেঁড়স ভাজি]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ২১৭
|-
|| ৫৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:পালং শাক ভাজি]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ২২৩
|-
|| ৫৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:সবজি কারি]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ২৯২
|-
|| ৫৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:মাছের বড়া]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ২৮৬
|-
|| ৫৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:টমেটো সালাদ]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২০৬
|-
|| ৫৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:শসার সালাদ]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২০৫
|-
|| ৫৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:টক দই]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ১৯৩
|-
|| ৬০ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিকেন কোপ্তা]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৯৪
|-
|| ৬১ || [[রন্ধনপ্রণালী:ডিম রোল]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৫৭
|-
|| ৬২ || [[রন্ধনপ্রণালী:গুড়ের পায়েস]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২২৭
|-
|| ৬৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:আনারসের চাটনি]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২২৭
|-
|| ৬৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:সেমাই পায়েস]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২০৮
|-
|| ৬৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:কুলের আচার]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৯৯
|-
|মোট পাতা:||৬৫||মোট শব্দ:||৭৬৩১৭
|}
== [[বাবহারকারী:Anik Kanti Dey|Anik Kanti Dey]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|| ১ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/মূল স্থান]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ৭৯৪
|-
|| ২ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/নিয়ন্ত্রক ও ক্ষতিপূরণকারী]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৭৬২
|-
|| ৩ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/কম্পিউটার মডেল/দৃষ্টিগত তথ্য প্রক্রিয়াজাতকরণের বর্ণনামূলক সিমুলেশন]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১২৪৪
|-
|| ৪ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/মানব কণ্ঠস্বর উৎপাদন]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ১০৫৫
|-
|| ৫ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/ভূমিকা]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ৯৫৯
|-
|| ৬ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/সাধারণ বৈশিষ্ট্য/অ্যাসোসিয়েশন কর্টেক্স]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৫০৪
|-
|| ৭ || [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/ভেক্টর ও স্কেলার]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৬৯৪
|-
|| ৮ || [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/তরঙ্গের অতিঅংশ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৫০৩
|-
|| ৯ || [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/ঘূর্ণন বল]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ৪৩৮
|-
|| ১০ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/নিয়ন্ত্রণযোগ্যতা ও পর্যবেক্ষণযোগ্যতা]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৭৩৮
|-
|| ১১ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/ডিজিটাল স্টেট স্পেস]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৭৩৮
|-
|| ১২ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/ডিজিটাল ও এনালগ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৭৮৭
|-
|মোট পাতা:||১২||মোট শব্দ:||৯২১৬
|}
== [[বাবহারকারী:Prerana Hatua|Prerana Hatua]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|| ১ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/সিস্টেম নির্দিষ্টকরণ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৩২
|-
|মোট পাতা:||১||মোট শব্দ:||১৩২
|}
== [[বাবহারকারী:Sagar Mahmud 1122|Sagar Mahmud 1122]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|| ১ || [[রাজনৈতিক যোগাযোগের উপাদান/প্রচলিত মিডিয়া নির্দেশিকা/সংবাদ বিজ্ঞপ্তি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৬২৮
|-
|| ২ || [[রাজনৈতিক যোগাযোগের উপাদান/প্রচলিত মিডিয়া নির্দেশিকা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৪
|-
|| ৩ || [[রাজনৈতিক যোগাযোগের উপাদান/মৌখিক বার্তার নির্দেশিকা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৪
|-
|| ৪ || [[রাজনৈতিক যোগাযোগের উপাদান/সাধারণ নির্দেশিকা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩২
|-
|| ৫ || [[উইকিশৈশব:কণা/প্রসারণ না সংকোচন?]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৯৫
|-
|মোট পাতা:||৫||মোট শব্দ:||১০৯৩
|}
== [[বাবহারকারী:রানা123|রানা123]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|| ১ || [[উইকিশৈশব:কণা/সারাংশ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৫৯৪
|-
|| ২ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/সমতলীয় তরঙ্গের প্রতিফলন, সঞ্চালন ও প্রতিসরণ]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৮৯
|-
|| ৩ || [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/ভরবেগ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৮২
|-
|| ৪ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/উপপ্রস্তাবনা]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৫৪
|-
|| ৫ || [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/অপটিক্স]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ৪৪৩
|-
|মোট পাতা:||৫||মোট শব্দ:||১৮৬২
|}
== [[বাবহারকারী:Thajib Hossain|Thajib Hossain]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|| ১ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/অনুশীলন: পয়েন্টার]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৪০২
|-
|| ২ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/প্রচলিত নিয়ন্ত্রণ]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৩১৭
|-
|মোট পাতা:||২||মোট শব্দ:||৭১৯
|}
== [[বাবহারকারী:Yasser Raihan|Yasser Raihan]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|| ১ || [[উইকিশৈশব:কণা/ব্রাউনীয় গতি]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩৫২
|-
|মোট পাতা:||১||মোট শব্দ:||৩৫২
|}
== [[বাবহারকারী:MD Sahib|MD Sahib]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|| ১ || [[প্রকৌশল শব্দবিজ্ঞান/সরল দোলন]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৮৩
|-
|মোট পাতা:||১||মোট শব্দ:||৩৮৩
|}
== [[বাবহারকারী:Sa'Adat-E-Zubaire|Sa'Adat-E-Zubaire]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|| ১ || [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/ক্ষেত্র]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২৪৩
|-
|| ২ || [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/অরাজকতা তত্ত্ব]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২১৮
|-
|| ৩ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/একাডেমিক বা শিক্ষাগত অসততা]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১২৭৯
|-
|মোট পাতা:||৩||মোট শব্দ:||১৭৪০
|}
== [[বাবহারকারী:Md Rashidul Hasan Biplob|Md Rashidul Hasan Biplob]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|| ১ || [[সম্পর্ক/মানব মস্তিষ্কের বিকাশ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৯৩০
|-
|| ২ || [[সম্পর্ক/অ্যাগাপে]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৮৯
|-
|| ৩ || [[তড়িৎ ও চুম্বক/স্থির তড়িৎ/পটেনশিয়াল গ্রাডিয়েন্ট]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৪০৪
|-
|| ৪ || [[তড়িৎ ও চুম্বক/স্থির তড়িৎ/একাধিক আধানসৃষ্ট বিভব]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ১৪৮
|-
|| ৫ || [[তড়িৎ ও চুম্বক/স্থির তড়িৎ/একটি আধানের কুলম্ব বিভব]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ১৬১
|-
|| ৬ || [[তড়িৎ ও চুম্বক/স্থির তড়িৎ/ক্যাপাসিটর]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৭০
|-
|| ৭ || [[তড়িৎ ও চুম্বক/স্থির তড়িৎ/পরিবাহীতে স্থির তড়িৎ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩৫০
|-
|| ৮ || [[তড়িৎ ও চুম্বক/চল তড়িৎ/ব্যাটারি ও জেনারেটর]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৪৩
|-
|| ৯ || [[তড়িৎ ও চুম্বক/চুম্বকত্ব/চৌম্বকের তড়িচ্চালক শক্তি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৪৪১
|-
|| ১০ || [[তড়িৎ ও চুম্বক/চুম্বকত্ব/চুম্বক]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ২৪৯
|-
|| ১১ || [[রন্ধনপ্রণালী:মুড়িঘন্ট]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৩৯১
|-
|| ১২ || [[রন্ধনপ্রণালী:লালমোহন]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৫৬৪
|-
|| ১৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:নবরত্ন কোরমা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৪৮৭
|-
|| ১৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:দই চিংড়ি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৪৫৮
|-
|| ১৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:খাসির রেজালা]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৮১
|-
|| ১৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:কালোজাম]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ৮২৪
|-
|| ১৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:মুরগির রোস্ট]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৪০২
|-
|| ১৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:পান্তা ভাত]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৩২৭
|-
|| ১৯ || [[রন্ধনপ্রণালী:দই চিঁড়া]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৩৮
|-
|| ২০ || [[রন্ধনপ্রণালী:শুঁটকি ভর্তা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১২২
|-
|মোট পাতা:||২০||মোট শব্দ:||৮৩৭৯
|}
== [[বাবহারকারী:T. Fhyym|T. Fhyym]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|| ১ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/শর্তাধীন অপারেটর]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ৭১০
|-
|মোট পাতা:||১||মোট শব্দ:||৭১০
|}
== [[বাবহারকারী:Najmol Hasan|Najmol Hasan]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|মোট পাতা:||০||মোট শব্দ:||০
|}
== [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|| ১ || [[উইকিশৈশব:গ্ৰাফিতিতে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান/আবু সাইদ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৪৭
|-
|| ২ || [[উইকিশৈশব:গ্ৰাফিতিতে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৫৮
|-
|মোট পাতা:||২||মোট শব্দ:||২০৫
|}
== [[বাবহারকারী:Ajmain Istheak|Ajmain Istheak]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|| ১ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/সিকোয়েন্স অপারেটর]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২৩৬
|-
|| ২ || [[কোয়ান্টাম জগৎ/আপেক্ষিকতা/লরেন্জ সংকোচন ও সময় সম্প্রসারণ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৫১
|-
|মোট পাতা:||২||মোট শব্দ:||৪৮৭
|}
== [[বাবহারকারী:Towfik Ahmed 07|Towfik Ahmed 07]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|| ১ || [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/তরঙ্গ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ৫২৩
|-
|মোট পাতা:||১||মোট শব্দ:||৫২৩
|}
== [[বাবহারকারী:Md Nasir Uddin Biplob|Md Nasir Uddin Biplob]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|| ১ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/ঘ্রাণতন্ত্র/ভূমিকা]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ১৮৩
|-
|মোট পাতা:||১||মোট শব্দ:||১৮৩
|}
== [[বাবহারকারী:Azizul Islam Abir|Azizul Islam Abir]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|| ১ || [[ঢেঁড়স ভাজি]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ১৬৯
|-
|| ২ || [[খাসির কাচ্চি বিরিয়ানি]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২২০
|-
|মোট পাতা:||২||মোট শব্দ:||৩৮৯
|}
== [[বাবহারকারী:Dr. Mosaddek Khondoker|Dr. Mosaddek Khondoker]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|| ১ || [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/রৈখিক গতি]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৯৯৯
|-
|মোট পাতা:||১||মোট শব্দ:||১৯৯৯
|}
== [[বাবহারকারী:Sheikh MD. Obaidul Hossain|Sheikh MD. Obaidul Hossain]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|| ১ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/পতঙ্গ/দৃষ্টি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১০৮৬
|-
|| ২ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/জেলিফিশ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৪৬৮
|-
|| ৩ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/দৃষ্টিতন্ত্র/পুরাতন/সংকেত প্রক্রিয়াকরণ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৭৭৩
|-
|| ৪ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/অব্যবহারে সংবেদী প্রক্রিয়াকরণের পরিবর্তন]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩২০০
|-
|মোট পাতা:||৪||মোট শব্দ:||৭৫২৭
|}
== [[বাবহারকারী:যুবায়ের হোসাইন কায়েফ|যুবায়ের হোসাইন কায়েফ]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|| ১ || [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/গ্রীক বর্ণমালা]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ৪০৪
|-
|| ২ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/সমীকরণের তালিকা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২০৩
|-
|| ৩ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/উদাহরণ/দ্বিতীয় শ্রেণীর সিস্টেম]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৩৬৩
|-
|| ৪ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/আবরণ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩৪
|-
|| ৫ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/স্নায়ুতন্ত্র/নিজের জ্ঞান যাচাইয়ের উত্তরমালা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৮২
|-
|| ৬ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/কোষ/নিজের জ্ঞান যাচাইয়ের উত্তরমালা]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১৫১
|-
|| ৭ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/জ্ঞানেন্দ্রিয়সমূহ/নিজের জ্ঞান যাচাইয়ের উত্তরমালা]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২৪২
|-
|| ৮ || [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/আবৃত্ত গতি]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ৬২
|-
|| ৯ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/শব্দকোষ/ড-ঢ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৭৬
|-
|| ১০ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/শ্বসনতন্ত্র/নিজের জ্ঞান যাচাইয়ের উত্তরমালা]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২৪৮
|-
|| ১১ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/পৌষ্টিকনালী ও পরিপাক/নিজের জ্ঞান যাচাইয়ের উত্তরমালা]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৩৬৮
|-
|| ১২ || [[তড়িৎচৌম্বকীয় বিকিরণ/গামা রশ্মি]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১২৪
|-
|| ১৩ || [[তড়িৎচৌম্বকীয় বিকিরণ/মাইক্রোতরঙ্গ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৯৯
|-
|| ১৪ || [[তড়িৎচৌম্বকীয় বিকিরণ/সম্পর্কসমূহ]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১১৩
|-
|| ১৫ || [[তড়িৎচৌম্বকীয় বিকিরণ/দৃশ্যমান আলো]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৬৩
|-
|| ১৬ || [[তড়িৎচৌম্বকীয় বিকিরণ/রঞ্জন রশ্মি]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৩১
|-
|| ১৭ || [[মানব শারীরতত্ত্ব/অ্যাসাইনমেন্টসমূহ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৪২৫
|-
|| ১৮ || [[সাধারণ বলবিজ্ঞান/বেগ নির্ভর বল]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৫০৭
|-
|| ১৯ || [[সাধারণ বলবিজ্ঞান]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৭৬
|-
|| ২০ || [[সাধারণ বলবিজ্ঞান/কাজ ও ক্ষমতা]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৬৬৫
|-
|মোট পাতা:||২০||মোট শব্দ:||৪৬৩৬
|}
== [[বাবহারকারী:Somajyoti|Somajyoti]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|| ১ || [[তড়িতচুম্বকীয় বিকিরণ/গামা রশ্মি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১২০
|-
|| ২ || [[তড়িতচুম্বকীয় বিকিরণ/এক্স-রে]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৩৩
|-
|| ৩ || [[তড়িতচুম্বকীয় বিকিরণ/অতিবেগুনি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২২৬
|-
|| ৪ || [[তড়িতচুম্বকীয় বিকিরণ/দৃশ্যমান আলো]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৫৮
|-
|| ৫ || [[তড়িতচুম্বকীয় বিকিরণ/ইনফ্রারেড]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১২২
|-
|| ৬ || [[তড়িতচুম্বকীয় বিকিরণ/মাইক্রোওয়েভ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১১৯
|-
|| ৭ || [[তড়িতচুম্বকীয় বিকিরণ/রেডিও]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৪০১
|-
|| ৮ || [[তড়িতচুম্বকীয় বিকিরণ/বর্ণালীর ব্যান্ডসমূহ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৯১
|-
|| ৯ || [[তড়িতচুম্বকীয় বিকিরণ/সম্পর্কসমূহ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১২২
|-
|| ১০ || [[তড়িতচুম্বকীয় বিকিরণ/পরিমাপের এককসমূহ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩২০
|-
|| ১১ || [[তড়িতচুম্বকীয় বিকিরণ/ভূমিকা]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১২৪
|-
|| ১২ || [[তড়িতচুম্বকীয় বিকিরণ]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ৩৫
|-
|মোট পাতা:||১২||মোট শব্দ:||২০৭১
|}
== [[বাবহারকারী:Hi.junaidofficial|Hi.junaidofficial]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|| ১ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/ইনডিরেকশন অপারেটর]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৮২৫
|-
|মোট পাতা:||১||মোট শব্দ:||৮২৫
|}
== [[বাবহারকারী:Md Nayed Ahmed Riaj|Md Nayed Ahmed Riaj]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|| ১ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিকেন ফিঙ্গার]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৮৫
|-
|| ২ || [[রন্ধনপ্রণালী:কই মাছের ঝোল]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২১১
|-
|| ৩ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/ভূমিকা]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৩৩
|-
|| ৪ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/শব্দকোষ/ক-ল]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৭৩
|-
|| ৫ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/ভয়েড ডেটা টাইপ]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ২০৭
|-
|মোট পাতা:||৫||মোট শব্দ:||৭০৯
|}
== [[বাবহারকারী:Bosesukla|Bosesukla]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|| ১ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/হৃদযন্ত্র/হৃৎপিণ্ড]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৬২১
|-
|মোট পাতা:||১||মোট শব্দ:||১৬২১
|}
== [[বাবহারকারী:Narrative warrior|Narrative warrior]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|| ১ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/টেক্সট ফাইল থেকে অ্যারে লোড করা]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৪৬৯
|-
|মোট পাতা:||১||মোট শব্দ:||৪৬৯
|}
== [[বাবহারকারী:Abdur Rakib|Abdur Rakib]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|| ১ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/হৃদযন্ত্র/রক্ত সংবহন]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৮৫১
|-
|মোট পাতা:||১||মোট শব্দ:||১৮৫১
|}
== [[বাবহারকারী:Malihamoni|Malihamoni]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|| ১ || [[রন্ধনপ্রণালী:গরুর কাচ্চি]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২০৯
|-
|| ২ || [[রন্ধনপ্রণালী:ফিশ কারি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৬৩
|-
|| ৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:ফিশ ফ্রাই]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৪৭
|-
|| ৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:ভেজ নুডলস]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৫৯
|-
|| ৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:বন রুটি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২১১
|-
|| ৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:গরুর মাংস ভুনা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২১০
|-
|| ৭ || [[রন্ধনপ্রণালী:মালাই চপ]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৬০
|-
|| ৮ || [[রন্ধনপ্রণালী:মশুর ডাল]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৪৮
|-
|মোট পাতা:||৮||মোট শব্দ:||১৪০৭
|}
== [[বাবহারকারী:Akhlakur Rahman Adil|Akhlakur Rahman Adil]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|| ১ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/দৃষ্টিতন্ত্র/পুরাতন/সংবেদী অঙ্গ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৭৯৭
|-
|| ২ || [[রন্ধনপ্রণালী:পনির কারি]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৩১৮
|-
|| ৩ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/সাধারণ অরৈখিকতা]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ৩৬৩
|-
|| ৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিকেন বার্গার]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৭৫
|-
|মোট পাতা:||৪||মোট শব্দ:||১৭৫৩
|}
== [[বাবহারকারী:BNBOY|BNBOY]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|| ১ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/ডিজিটাল নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৭৫৪
|-
|মোট পাতা:||১||মোট শব্দ:||৭৫৪
|}
== [[বাবহারকারী:NeoNoman|NeoNoman]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|| ১ || [[তড়িৎ ও চুম্বক/চুম্বকত্ব/তড়িৎ প্রবাহে কুলম্বের সূত্র]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২২৪
|-
|| ২ || [[তড়িৎ ও চুম্বক/স্থির তড়িৎ/তড়িৎ বিভব]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৮৫৯
|-
|মোট পাতা:||২||মোট শব্দ:||১০৮৩
|}
== [[বাবহারকারী:Hosen MD Obayedullah|Hosen MD Obayedullah]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|মোট পাতা:||০||মোট শব্দ:||০
|}
== [[বাবহারকারী:Daiyan-2004|Daiyan-2004]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|| ১ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/ফর লুপ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৩২৬
|-
|মোট পাতা:||১||মোট শব্দ:||৩২৬
|}
== [[বাবহারকারী:Ishrat Jahan Tahmid|Ishrat Jahan Tahmid]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|| ১ || [[সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/সামাজিক আন্দোলন]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৮৭৫
|-
|| ২ || [[সমাজবিজ্ঞানের পরিচিতি/সমষ্টিগত আচরণ]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ৩৭৫৩
|-
|মোট পাতা:||২||মোট শব্দ:||৬৬২৮
|}
== [[বাবহারকারী:Obangmoy|Obangmoy]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|| ১ || [[প্রাণীর অঙ্গসংস্থান ও শরীরবিদ্যা/লেখক]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১২২
|-
|| ২ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/ভূমিকা]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ৫৫৮
|-
|| ৩ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/সুইফট লুপ উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ২৬১
|-
|| ৪ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/লুপের উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ১৯
|-
|| ৫ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/সুইফট অ্যারে উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:Yahya|Yahya]] || ২৩১
|-
|| ৬ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/শর্তের উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২৮৮
|-
|মোট পাতা:||৬||মোট শব্দ:||১৪৭৯
|}
== [[বাবহারকারী:MD Ashradul Islam Tasin|MD Ashradul Islam Tasin]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|| ১ || [[তত্ত্ব শিখন/প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষণ: প্রভাবক উপাদান]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ২৩৯৮
|-
|| ২ || [[তত্ত্ব শিখন/প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষণ: শাখাভিত্তিক অবদান]] || [[বাবহারকারী:Mehedi Abedin|Mehedi Abedin]] || ১৬৭১
|-
|| ৩ || [[তত্ত্ব শিখন/নির্মাণবাদী তত্ত্ব]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ১১৪৬
|-
|| ৪ || [[তত্ত্ব শিখন/আচরণবাদী তত্ত্ব]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ২৪২১
|-
|| ৫ || [[পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন নির্দেশিকা/লগারিদম]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ২৪০
|-
|| ৬ || [[অতীন্দ্রিয়বাদ/অতীন্দ্রিয়বাদ কি?]] || [[বাবহারকারী:NusJaS|NusJaS]] || ১৮২৮
|-
|মোট পাতা:||৬||মোট শব্দ:||৯৭০৪
|}
== [[বাবহারকারী:Sifat Hasan Adil|Sifat Hasan Adil]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|মোট পাতা:||০||মোট শব্দ:||০
|}
== [[বাবহারকারী:Waliurrahmanlimon|Waliurrahmanlimon]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|| ১ || [[প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা/সি-শার্প পরিচিতি উদাহরণ]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ২১১
|-
|মোট পাতা:||১||মোট শব্দ:||২১১
|}
== [[বাবহারকারী:Editobd|Editobd]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|| ১ || [[রন্ধনপ্রণালী:বেসনের পকোড়া]] || [[বাবহারকারী:MS Sakib|MS Sakib]] || ৩৮৬
|-
|| ২ || [[রন্ধনপ্রণালী:বেসনের চপ]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৫৮১
|-
|| ৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিকেন চিলি]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ৪০৬
|-
|| ৪ || [[নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা/অভিযোজিত নিয়ন্ত্রণ]] || [[বাবহারকারী:Ishtiak Abdullah|Ishtiak Abdullah]] || ১০৮
|-
|| ৫ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র/আর্থ্রোপড]] || [[বাবহারকারী:Tahmid|Tahmid]] || ৮৯৬
|-
|| ৬ || [[ইন্দ্রিয়তন্ত্র]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ০
|-
|মোট পাতা:||৬||মোট শব্দ:||২৩৭৭
|}
== [[বাবহারকারী:Dolon Prova|Dolon Prova]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|| ১ || [[রন্ধনপ্রণালী:শসার রায়তা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৫০
|-
|| ২ || [[রন্ধনপ্রণালী:আলু বেগুনের ঝোল]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৯৭
|-
|| ৩ || [[রন্ধনপ্রণালী:ভাপা পিঠা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৫৯
|-
|| ৪ || [[রন্ধনপ্রণালী:বাঁধাকপি ভাজি]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২০৬
|-
|| ৫ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিংড়ি ভুনা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ১৯৩
|-
|| ৬ || [[রন্ধনপ্রণালী:শুঁটকি ভুনা]] || [[বাবহারকারী:MdsShakil|MdsShakil]] || ২৫৯
|-
|মোট পাতা:||৬||মোট শব্দ:||১১৬৪
|}
== [[বাবহারকারী:Saadi095|Saadi095]] ==
{| class="wikitable sortable"
!সি.!! নিবন্ধসমূহের তালিকা !! পর্যালোচক !! শব্দসংখ্যা
|-
|| ১ || [[রন্ধনপ্রণালী:চিকেন নুডলস]] || [[বাবহারকারী:R1F4T|R1F4T]] || ২৫৮
|-
|মোট পাতা:||১||মোট শব্দ:||২৫৮
|}
nkxu7pxn9p1xtupzznazwgla1wquneo
ব্যবহারকারী আলাপ:Md Nirab Mahnud
3
27259
85821
2025-07-08T05:40:10Z
KanikBot
8129
স্বাগতম!
85821
wikitext
text/x-wiki
== বাংলা উইকিবইয়ে স্বাগত ==
{{স্বাগত/২য় সংস্করণ}} ০৫:৪০, ৮ জুলাই ২০২৫ (ইউটিসি)
7sf1fu4ey148pcxiu6jfquietpbg86p
ব্যবহারকারী:Md Mobashir Hossain/common.js
2
27260
85844
2025-07-08T10:43:20Z
Md Mobashir Hossain
10853
"if (mw.config.get('wgNamespaceNumber') === 4) { mw.loader.load('https://bn.wiktionary.org/w/index.php?title=মিডিয়াউইকি:Gadget-VisualEditorEverywhere.js&action=raw&ctype=text/javascript'); }" দিয়ে পাতা তৈরি
85844
javascript
text/javascript
if (mw.config.get('wgNamespaceNumber') === 4) {
mw.loader.load('https://bn.wiktionary.org/w/index.php?title=মিডিয়াউইকি:Gadget-VisualEditorEverywhere.js&action=raw&ctype=text/javascript');
}
mgxcpmwmqu4irybhwvdupkpk7amh19r
85845
85844
2025-07-08T10:43:40Z
Md Mobashir Hossain
10853
85845
javascript
text/javascript
{
mw.loader.load('https://bn.wiktionary.org/w/index.php?title=মিডিয়াউইকি:Gadget-VisualEditorEverywhere.js&action=raw&ctype=text/javascript');
}
e79tnsw00dqu3cyq69d1g7ldykamdh1
ব্যবহারকারী আলাপ:TheUltimateInfinityMaster9000000
3
27261
85848
2025-07-08T11:40:07Z
KanikBot
8129
স্বাগতম!
85848
wikitext
text/x-wiki
== বাংলা উইকিবইয়ে স্বাগত ==
{{স্বাগত/২য় সংস্করণ}} ১১:৪০, ৮ জুলাই ২০২৫ (ইউটিসি)
a3vbwh1xs08x1pwlzls7aarzbi363fc